text
stringlengths
208
626k
metadata
stringclasses
1 value
বিডিটুডে.নেট: গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম [email protected] গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক 19 October 2014, Sunday ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি চালুর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পক্ষে–বিপক্ষে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে কর্তৃপক্ষ আসন খালি থাকার দোহাই দিচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের একাংশ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। সবার জন্য গ্রহণযোগ্য ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি কী হতে পারে, সে সম্পর্কে লিখেছেন দুজন শিক্ষাবিদ ও একজন শিক্ষার্থী। .আমি নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি, যেকোনো শিক্ষার্থীরই সবচেয়ে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকা উচিত। পৃথিবীর অনেক দেশেই সে সুযোগ আছে। আমাদের দেশেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ আছে। অনেক দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু এখন আমাদের বাস্তবতা, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতা জটিল আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ অভিভাবকই চান, সন্তান এখানে পড়ুক। তাই এক আসনের জন্য ৪০-৫০ জন প্রতিযোগিতা করে। এটা ভয়ানক চাপ। সেই চাপ কমাতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রহিত করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বললে সমস্যার রূপটা বোঝা যাবে। প্রতিবছর ৫০ শতাংশ ভর্তি-ইচ্ছুক থাকে, যারা আগের বছরে পাস করেছে। এ বছর যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তাতে নতুন ৫০ শতাংশ, পুরোনো ৫০ শতাংশ। অনেকে প্রথমবার তাদের পছন্দমতো ভালো বিভাগ না পেলে যা পেয়েছে তাতে ভর্তি হয়ে থেকে পরের বছরে আবার সুযোগ নিতে চায়। যারা সুযোগই পায়নি, তারা অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে থেকে পরের বছর আবার চেষ্টা করে। এতে করে দুটি সমস্যা বড় হয়ে দেখা দেয়। প্রথমত, নতুন ও পুরোনোদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা হয়। যেমন এবার যারা পাস করে ভর্তি পরীক্ষায় বসেছে, তারা সময় পেয়েছে দুই মাসেরও কম। কিন্তু আগের বছরের যারা, তারা কিন্তু প্রস্তুতির জন্য পেয়েছে এক বছরের বেশি সময়। এই দুই গ্রুপের ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রতিযোগিতা অসম। দ্বিতীয় সমস্যা হলো আসনশূন্যতা। গতবার ভর্তি হয়ে এবার পছন্দের বিভাগে সুযোগ পেয়ে অনেকে যখন চলে যায়, তখন আসনশূন্যতা দেখা দেয়। এ রকম আসনস্বল্পতার মধ্যে সাড়ে তিন শ আসন মাস্টার্স পর্যন্ত শূন্য থাকা বিরাট অপচয়। এই আসনগুলো যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নতুন বছরের আসনের ওপর পুরোনো বছরের ভর্তি-ইচ্ছুকেরা ভাগ বসাচ্ছে। আরও এক বছর দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দাবি তৃতীয়ত, দেখা গেছে যে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি তথা মোবাইল ফোনে প্রশ্ন বলে দেওয়া, নকল ইত্যাদি যারা করে, তাদের বেশির ভাগই গত বছরে পাস করেছে। সারা বছর ধরে কোচিং করার জন্য কোচিং-বাণিজ্যও রমরমা হয়। এবার যে কোচিং-বাণিজ্য কম হয়েছে, তার কারণ পরীক্ষার আগে সময় কম ছিল। এ ছাড়া একটি শ্রেণিতে সিনিয়রের সঙ্গে জুনিয়রদের ক্লাস করার ক্ষেত্রেও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও দেখা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পাস-ফেলের বিষয় নয়। ভর্তি-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেধাবীদের মধ্য থেকে বাছাই করে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নটা বড়। এসব কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। তবে আমি মনে করি, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি দাবি মানা যায় যে সিদ্ধান্তটা আগামীবারের পরেরবার অর্থাৎ ২০১৬ থেকে কার্যকর করা হবে। কিন্তু একসময় না একসময় এটা করতেই হবে। আমাদের বরং মনোযোগ দেওয়া উচিত সব বিশ্ববিদ্যালয়কে মানসম্পন্ন করার দিকে; যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমে। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি মানসম্পন্ন করা যায়, তাহলে সিলেটের ছাত্র সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েই খুশি থাকবে, পটুয়াখালীর শিক্ষার্থী পটুয়াখালীতে পড়বে। ভালো শিক্ষকেরা যাতে ঢাকার বাইরে থাকতে রাজি হন, সে জন্য তাঁদের বিশেষ বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হবে। ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে উন্নীত করি, সবগুলো না হলেও সেখানে যদি কিছু বিষয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ থাকে, তাহলে উচ্চশিক্ষা ছড়িয়ে পড়বে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে বিশেষ উচ্চতায়। বাকিগুলো সব এক স্তরে। আমাদের এখানেও তেমনটা হতে অসুবিধা কোথায়? আমি মেডিকেলের মতো গুচ্ছপদ্ধতির ভর্তি-প্রক্রিয়ার পক্ষে। সারা দেশের পরীক্ষার্থীরা যদি এক দিনে পরীক্ষা দেয় এবং মেধাক্রম অনুসারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে একজনকে সাত-আট জায়গায় পরীক্ষার দুর্ভোগে পড়তে হয় না, নকলের সুযোগও কমে। হতে পারে যে একেকটি অনুষদের জন্য একেক গুচ্ছপরীক্ষা। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ( প্রথম আলো ) পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Sep, 2016 তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয় 10 Jul, 2015 সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে 13 Nov, 2014 আপনাকে অভিবাদন, স্যার 06 Nov, 2014 সামনে তো এগোতেই হবে 30 Aug, 2014 অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক 21 Jul, 2014 শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় 07 Jun, 2014 প্রশ্নপত্র ফাঁস, না শিক্ষার গলায় ফাঁস? 12 May, 2014 সরকারের নারায়ণগঞ্জ পরীক্ষা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: প্রচণ্ডের ক্ষমতায় ফেরা : হার-জিতের সমীকরণ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুম খলিলী [email protected] প্রচণ্ডের ক্ষমতায় ফেরা : হার-জিতের সমীকরণ 04 August 2016, Thursday নেপালের ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড। সংসদে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ পাওয়া বেশ ভাগ্যের ব্যাপার মনে হতে পারে গতানুগতিক মূল্যায়নে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এক সময়ের দেশ কাঁপানো গেরিলা নেতা প্রচণ্ড এবার ক্ষমতায় ফিরেছেন নিজের দলের পক্ষে জনগণের মতের ওপর ভিত্তি করে নয় বরং সংসদের গরিষ্ঠ দল নেপালি কংগ্রেসের সমর্থনের ওপর ভিত্তি করেই। অধিকন্তু, তিনটি মাধেসি দলের সাথেও বোঝাপড়া করতে হয়েছে তাকে। নেপথ্যে, ক্ষমতায় যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াকে অনুমোদন করেছে নয়াদিল্লি। সমঝোতা অনুযায়ী নেপালি কংগ্রেসের সদস্যরা সংসদে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিয়েছেন প্রচণ্ডকে। এর আগে আস্থা ভোটে হেরে যাবেন মর্মে নিশ্চিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সিপিএন-ইউএমএল নেতা খড়গ প্রসাদ ওলি। বুধবারের আস্থা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নামেনি পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী ওলির দল ইউএমএল। ৫৯৫ সদস্যের পার্লামেন্টে যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারবেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন- এমন পরিস্থিতিতে সিপিএন (এম) নেতা পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডকে সমর্থন দেয় নেপালি কংগ্রেস। মোট ৫৭৩ জন ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৬৩টি ভোট প্রচণ্ডের পক্ষে গিয়েছে। ২১০ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বাকিরা ভোটে অংশ নেননি। সংসদে নেপালি কংগ্রেসের ১৯৬, ইউএমএলের ১৭৫ এবং মাওবাদীদের ৮০টি আসন রয়েছে। এই প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই ১৯৯৬ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছিল মাওবাদী কমিউনিস্টরা। এক দশক দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ২০০৬ সালে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সমন্বিত শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে। মাওবাদীরা মূল ধারার রাজনীতিতে চলে আসে। ১৯৯০ সালে রাজতন্ত্রের অধীনে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ২৬ বছরে নেপালের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড। ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ২২৯ আসনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড। এক রক্তাক্ত রাজপ্রাসাদ হত্যাকাণ্ডের পথ ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিবর্তন আসে নেপালে। সপরিবারে রাজা বীরেন্দ্রর হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতায় এসে তার ভাই জ্ঞানেন্দ্র দীর্ঘ দিনের রাজতন্ত্রকে ধরে রাখতে পারেননি। গণ-আন্দোলনে রাজশাসনের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মতিতে নেপালকে সেক্যুলার প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালে সেই প্রজাতন্ত্রের প্রথম গণপরিষদ নির্বাচনের পর মাওবাদীরা সরকার গঠন করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর এক বছর সময়ের মধ্যেই মাওবাদীদের সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণে অস্বীকৃতি জানানোকে কেন্দ্র করে সেনাপ্রধান বোকমাংগুদ কাতওয়ালকে বরখাস্ত করার ঘটনা নিয়ে সেনাবাহিনী ও প্রেসিডেন্টের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে পদত্যাগ করতে হয় প্রচণ্ডকে। এরপর ক্ষমতায় আসে নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি-ইউএমএল। মাওবাদীদের আন্দোলনের মুখে মাধব নেপালের সেই সরকার টিকতে পারেনি। পরে প্রচণ্ডের সহযোগী বাবুরাম ভট্টরাই প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু দুই বছরের নির্ধারিত সময় কয়েক দফা বাড়ানোর পরও গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়ন করতে পারেনি। এরপর দ্বিতীয় দফা গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে। এই নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি কাছাকাছিসংখ্যক আসনে জয়ী হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়। ব্যাপক ব্যবধানে তৃতীয় অবস্থানে নেমে আসে প্রচণ্ডের মাওবাদী দল। এর মধ্যে অন্তর্কলহে কয়েক দফা ভেঙে যায় দলটি। সর্বশেষ বাবুরাম ভট্টরাইও এই দল ছেড়ে নতুন দল গঠন করেছেন। এই ভাঙাচোরা দল নিয়েই রাজনৈতিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় দফা প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড। এ জন্য নেপালি কংগ্রেসের সাথে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ৯ মাস থেকে এক বছর প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হবেন নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা। প্রচণ্ডের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯টি মন্ত্রণালয় পাবে নেপালি কংগ্রেস। মাধেসিদের সাথে যে তিন দফা সমঝোতা হয়েছে, সে অনুযায়ী মাধেসি আন্দোলনে নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। আর সংবিধান সংশোধন করে তাদের দাবির স্বীকৃতি দিতে হবে। মাধেসিদের পৃথক প্রদেশের দাবি কতটা পূরণ করা হবে, সেটি অবশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। নেপালে সরকার পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় যে পেছন থেকে গুটি খেলার কাজটি দিল্লি থেকে হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। নেপালের সব কিছুকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে একপর্যায়ে সেখানকার রাজনীতি অনেকটাই হাতছাড়া হয়ে যায় দিল্লির। দেশটির প্রধান তিনটি দল এক হয়ে ভারতের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে নতুন সংবিধান অনুমোদন করে ফেলে। নয়াদিল্লির নিষেধকে চ্যালেঞ্জ করে এই পদক্ষেপ নেয়ার কারণে দক্ষিণ নেপালে সমতলের তরাই অঞ্চলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাধেসিদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন সৃষ্টি করা হয়। মাধেসিরা ভারতের সহায়তায় নেপালের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে রাখে দীর্ঘ দিন। কিন্তু নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো এই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি; বরং সংবিধান সংশোধনের পর মাওবাদীদের সমর্থনে ক্ষমতায় এসে ইউএমএল নেতা কে পি ওলি শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি ভারতের অবরোধের মুখে চীনের সাথে নতুন মহাসড়ক নির্মাণ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘ট্রেড অ্যান্ড ট্রানজিট’ চুক্তি করেছেন। ভারত কর্তৃক সে দেশের বংশোদ্ভূত মাধেসিদের সমর্থনে অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে জনগণের দুর্দশা যত বৃদ্ধি পায় ততই ভারতবিরোধী চেতনা চাঙা হয় নেপালে। ভারত অব্যাহতভাবে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে চেষ্টা করে নেপালের সরকার মাধেসিদের সাথে সমঝোতায় আসতে। এতে নতি স্বীকার না করায় ওলি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করে দিল্লি। নেপালি কংগ্রেসের সাথে দিল্লির সম্পর্ক অনেক পুরনো। কিন্তু শুধু মাধেসিদের সমর্থনে কংগ্রেসের পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব নয়। এ কারণে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু মামলা তুলে নেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে মাওবাদী এবং ইউএমএলের মধ্যে বিরোধ তৈরি করা হয়। মাওবাদী দল ও এর নেতা প্রচণ্ডের ওপর কোনো সময় দিল্লি সন্তুষ্ট ছিল না। প্রচণ্ড প্রথম দফা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পেছনে কলকাঠি ভারতই নাড়িয়েছে বলে প্রচণ্ডের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লি যাওয়ার আগে বেইজিং সফর করেছিলেন, যা দিল্লি মেনে নিতে পারেনি। তদুপরি কে পি ওলি সরকার গঠনের পর যেভাবে নেপালকে ভারত নির্ভরতা থেকে দূরে সরিয়ে চীনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেটি কোনোভাবেই দিল্লি মেনে নিতে পারেনি। এ জন্য কে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় ওলিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় করা। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার টোপ প্রচণ্ড প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি বলেই অনেকের অভিমত। অবশ্য ক্ষমতায় গিয়েই প্রচণ্ড ভারতের স্বার্থে সব নীতি প্রণয়ন করবেন, এমনটি হবে না। তবে দিল্লির সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং তার ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় স্বাধীনভাবে পথচলা প্রচণ্ডের পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব হতে পারে। আর একজন মাওবাদী নেতা প্রধানমন্ত্রী হলেও ভারতের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, এক বছরের মধ্যেই সরকার পরিবর্তন হয়ে নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ ছাড়া প্রচণ্ডের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা কংগ্রেসের হওয়ার কারণে সরকারের ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ তাদের থাকবে। কেপি ওলিকে বিদায় করতে পারার মধ্যে ভারত আপাতদৃষ্টিতে তাদের জয় দেখতে পেলেও তাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি সহজে পূরণ হবে বলে মনে হয় না। সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়টা কেপি ওলির জন্য একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এ সময় দেশের মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব জাতীয়তাবাদী ঐক্য এসেছে। চীনের সাথে যেসব চুক্তি তিনি সম্পাদন করেছেন, তা থেকে প্রচণ্ড সরে আসতে পারবেন বলে মনে হয় না। নেপালি কংগ্রেস সরকারের সময়ই সংবিধান অনুমোদন করা হয়েছে। এরপর ভারতের সর্বব্যাপী চাপকে প্রধান দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে চীনের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক নির্মাণের ব্যাপারে একমত হয়। সঙ্কট সময়ে এমন ধরনের জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে যে, ভারতের সাথে নেপালের যে বিশেষ চুক্তি রয়েছে তার ব্যাপারেও প্রশ্ন সৃষ্টি হয় নেপালি জনগণের মধ্যে। ফলে স্বাধীনভাবে নীতিনির্ধারণের ব্যাপারে গত কয়েক বছরে যে পরিবর্তন ঘটেছে, সেটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া দিল্লির পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। প্রচণ্ড দীর্ঘদিন গেরিলা আন্দোলন করে আজ যে পর্যায়ে এসেছেন, তাতে তাকে অতীত ভূমিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে না। তাকে নিজের স্বার্থেই জাতীয়তাবাদী নীতি এবং চীন-ভারতের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে যেতে হবে। আর যেহেতু দ্বিতীয় বছরে নেপালি কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর পদ পাওয়ার জন্য সমঝোতা রয়েছে, তাই এমন কোনো পরিস্থিতি কংগ্রেস তৈরি করতে চাইবে না, যাতে সরকার ভেঙে পড়ে অথবা দুই কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে আবারো ঐক্য গড়ে ওঠে। এর আগে কেপি ওলি-প্রচণ্ড কোয়ালিশন ছিল স্বাভাবিক রাজনৈতিক ঐক্য। এখনকার কংগ্রেস-মাওবাদী ঐক্য একটি টেকনিক্যাল ঐক্য। নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেউবা দুইজনের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালের পর একজনের নির্দেশে তার গেরিলা বাহিনী অপহরণ করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে, আর অন্য জনের বিরুদ্ধে ২০০১-০২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে গুম করে ফেলা বা হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সে সময় আজকের রাজনীতির দুই সহযোগীর অবস্থান ছিল পরস্পর বিপরীত স্্েরাতে। এখনো সেনাবাহিনীতে মাওবাদী যোদ্ধাদের আত্তীকরণ বা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়ার মতো যে স্পর্শকাতর ইস্যু মাওবাদীদের সামনে রয়েছে, তা মেনে নেয়া কংগ্রেসের পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব। এখানে সেনাবাহিনীর একটি চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ও রয়েছে। ফলে দুই শাসক দলের সব কিছু যে মসৃণভাবেই এগোবে তা মনে করার কারণ নেই। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলে যে প্রবাদ রয়েছে, তার সূত্র ধরেই হয়তো অসম্ভব এক মেরুকরণ নেপালে ঘটেছে। তবে এই মেরুকরণের দীর্ঘমেয়াদি সুফল যে কেপি ওলির ঘরে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে এখনো রয়েছেন ওলির ঘনিষ্ঠ বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সঙ্কট সময়ে তিনি একটি ভূমিকা রাখতে পারবেন। এ ছাড়া ওলিকে ভারতই যে নেপথ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে, সেটি সবাই জানে। ভারতবিরোধী নেপালি ভোটাররা এ কারণে আগামীতে মাওবাদীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ওলির নেতৃত্বাধীন ইউএমএল-মুখী হতে পারে। শেষ কথা হয়তো এখনো বলার সময় আসেনি। প্রচণ্ড প্রথম দফায় অনেক বেশি ক্ষমতা ও জনসমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও সে সময় ক্ষমতার রাজনীতি এবং সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা তার কম ছিল। এখন তিনি ক্ষমতার রাজনীতিতে অনেক পরিপক্ব, যদিও এর মধ্যে অনেক সহযোগী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন ভিন্ন গন্তব্যে। বিপ্লবী মাওবাদীদের স্বপ্নেও চিড় ধরতে শুরু করেছে। দলের গণসমর্থনের ভিত্তিও হয়ে গেছে দুর্বল। তবু নেপালকে অগ্রগতি, স্থিতি ও ভারসাম্যপূর্ণ শাসনে ফিরিয়ে নিতে পারলে কিছুটা হলেও তার সাফল্য আসবে। আর নেপথ্য থেকে চীন ও ভারত দুই দেশই নেপালের ক্ষমতার চাবিকাঠির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাইবে। এ ক্ষেত্রে চীনের ব্যাপক উন্নয়ন সহায়তা দেয়ার যে সামর্থ্য রয়েছে, সেটি ভারতের নেই। আর ভারতের কূটনৈতিক কৌশল যতটা স্থূল, ততটা সূক্ষ্ম খেলায় পারদর্শী বেইজিং। ফলে স্বল্পমেয়াদে ক্ষমতার রদবদলে তাদের অনেক সময় হার মানতে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত চীনা প্রভাব বারবার ফিরে আসে। নেপালেও এর ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। কারণ দিল্লির এক রোখা নীতির কারণে ভারতীয় রাডার থেকে ইতোমধ্যে অনেকখানি দূরে সরে গেছে কাঠমান্ডু। [email protected] উৎসঃ nayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 06 Oct, 2016 সৌদি ৯/১১ আইন, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা 29 Sep, 2016 দক্ষিণ এশিয়ায় রণ হুঙ্কার 24 Sep, 2016 পাক-ভারত উত্তেজনা : সার্ক- কাশ্মির-বেলুচিস্তান 16 Sep, 2016 ট্রাম্পের হঠাৎ উত্থান 09 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 08 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 01 Sep, 2016 হঠাৎ কেন বেলুচিস্তান? 25 Aug, 2016 হিলারি-ট্রাম্পের ইহুদি সংযোগ 13 Aug, 2016 এরদোগানের রাশিয়া সফরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভারসাম্য আসবে? 28 Jul, 2016 ট্রাম্প ডকট্রিনে বিশ্ব পরিণতি 24 Jul, 2016 রুশ-চীন-ইরান বলয়ের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক? 14 Jul, 2016 ভূরাজনৈতিক রণক্ষেত্রে পরিণত বাংলাদেশ! 01 Jul, 2016 অনিশ্চয়তার পথে বাহরাইন 17 Jun, 2016 কতটা বরফ গলছে রুশ-তুর্কি সম্পর্কে 10 Jun, 2016 রবিনহুডের বাজেট! 02 Jun, 2016 হিমঘরের খরচ কমবে বাজেটে! 19 May, 2016 অবিস্মরণীয় জয় মমতার 12 May, 2016 তুরস্কে রাজনৈতিক সঙ্কটের পরিণতি 06 May, 2016 অখণ্ডতার চ্যালেঞ্জ জয়ে নতুন পথে সৌদি আরব 21 Apr, 2016 মুসলিম বিশ্বের হানাহানিকে দীর্ঘ করতে নতুন তত্ত্ব 31 Mar, 2016 প্রতিবেশী দুই ভারতীয় রাজ্যে নির্বাচন 22 Mar, 2016 সিরিয়াকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ভাঙা-গড়ার খেলা 17 Mar, 2016 অর্থনীতিতে এ কেমন ওলটপালট 10 Mar, 2016 মালয়েশিয়ায় মাহাথির-নাজিব সম্মুখ সমর! 25 Feb, 2016 ওবামাই কি আমেরিকার শেষ প্রেসিডেন্ট? Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম শাহ আবদুল হান্নান [email protected] ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা 02 December 2015, Wednesday আমি নিজে জীবনে অনেক ইতিহাস পড়ে বুঝলাম, ইতিহাস হলো বড় শিক্ষক। মানুষ কী কী ভালো কাজ করেছে এবং তা কারা করেছে, তাদের কী যোগ্যতা ছিল, কোন কোন পরিস্থিতিতে সফল হওয়া যায় তা ইতিহাস পাঠে জানা যায়। এখানে ব্যক্তিগত একটা বিষয় থাকে, লোকটা কত যোগ্য। আবার পরিস্থিতির একটা ব্যাপার থাকে। অনেক সময় যোগ্য লোকও পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই করতে পারেন না। পরিস্থিতি অনুকূল হলে কম যোগ্য লোকও পারেন। এগুলোর ইতিহাস পড়লে আমরা জানতে পারি, যারা বড় কিছু অর্জন করেছেন, তাদের কী কী যোগ্যতা ছিল এবং তাদের সময়ের পরিস্থিতিটা কেমন ছিল। তেমনিভাবে মানুষের ব্যর্থতাগুলো জানা যায়। ব্যক্তির দোষের কারণে ইতিহাসে কী কী বিষয়ে ব্যর্থ হচ্ছে, আবার পরিস্থিতির কারণে কারা কারা ব্যর্থ হয়েছে, তা জানা যায়। কাজেই ইতিহাস একটা বড় শিক্ষক। যেসব বিষয় অবশ্যই পড়তে হবেÑ এর মধ্যে একটা হচ্ছে সাহিত্য, আরেকটা ইতিহাস। আরো অনেক কিছু আছে যা পড়তেই হবে। সাহিত্য জীবনের দর্পণ। তা পড়ে একটা সমাজ কেমন ছিল তা জানা যায়। এটা মনে করা ঠিক হবে না যে, শরৎচন্দ্র পড়লে আমি শুধু উপন্যাস পড়লাম। তা না, ভিন্ন সমাজকেও বুঝলাম। ওই সময়ের হিন্দুসমাজের দ্বন্দ্বগুলোও বুঝলাম। একই কথা সত্য সবার ক্ষেত্রে। শেক্সপিয়র পড়লে আমরা জানতে পারি, ওই সময়ের সাহিত্যের উপজীব্য কী ছিল? সেই সমাজ কেমন ছিল? সেখানে বড়লোকেরা কেমন ছিল? সাধারণ মানুষ কেমন ছিল? কী কী ধরনের প্রশ্ন তাদের সামনে ছিল। আমাদের ইতিহাস ও সাহিত্য দু’টিই লাগবে। অথচ ব্যাপকভাবে এ দু’টির চর্চাই কমে গেছে। ধর্মের বিষয়ে পড়াশোনা নেই। ধর্মকে তো ফিলোসফিই বলা যায়। এটাও মানুষ পড়ছে না। সাহিত্য ও ইতিহাসও কম পড়ছে আগের তুলনায়। এরা পড়ছে বিজনেস। আর অবশ্যই সায়েন্স বা বিজ্ঞান শিখছে, যে সায়েন্সের মাধ্যমে টেকনোলজি তৈরি করা যাবে। যে সায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্বের প্রকৃতি জগতের অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে; যার সূত্র বের করা যায়, কারণগুলো জানা যায়। কিন্তু এরপরও এই সায়েন্স আর বিজনেস পড়ে মানুষ হওয়া যায় না। এর মাধ্যমে রোবট হওয়া যায়। বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ কিন্তু কম-বেশি রোবট। হতে পারে ব্যতিক্রম এখনো আছে এশিয়ার কিছু দেশে। কিংবা যদি বলি মুসলিম ওয়ার্ল্ডের কথা, আফ্রিকার কিছু কিছু দেশ; এখনো এরা রোবট হয়নি। কিন্তু বাকি বিশ্ব রোবট হয়ে গেছে। ইউরোপ রোবট হয়ে গেছে। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া রোবট হয়ে গেছে। এই হচ্ছে অবস্থা। আমরা তো রোবট চাই না। তাহলে আমাদের ফিলোসফি বা ধর্ম পড়তে হবে। সাহিত্য ও ইতিহাস পড়তে হবে। পরবর্তী সময়ে আরো দেখা গেল, এরা এই স্বার্থপরের মতো বলতে লাগল, টাইম ইজ মানি। তার মানে সময় অন্য কোনো কাজে নষ্ট করা যাবে না; অর্থোপার্জনের কাজে ব্যবহার করতে। যা দিতে হবে ‘মানির’ জন্য দিতে হবে। তাই যদি হয়, তাহলে আমাকে ব্যবসায় শিখতে হবে বেশি করে, যা অর্থ দেয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা করতে গিয়েই মানুষ বিজনেস সায়েন্সে চলে গেল। পিওর সায়েন্স, টেকনোলজির সাইডে ছিল কিছুটা। কোনোটাই খারাপ না, যদি সব কিছু মিলে হতো। ধর্ম ও নৈতিকতাকে সাথে নিয়ে যদি করা হতো। কিন্তু ধর্ম বাদ দেয়ার কারণে এগুলো একেবারে একপেশে, একতরফা, একমুখী হয়ে গেল। এসব কারণেই মানুষ শেষ পর্যন্ত রোবট হয়ে যাচ্ছে; আমাদের ছেলেমেয়েরাও। যদি এর থেকে ফিরে আসতে হয়, ধর্মেই ফিরে আসতে হবে। এটা বলতে বোঝাচ্ছি না যে, ধর্ম বলতে ইসলাম সবখানেই। আমি অবশ্যই ইসলাম চাই। এরপরও বাস্তববাদী বলেই মনে করি, যেখানে হিন্দু ধর্মই প্রধান, সেখানে হিন্দু ধর্মেই ফিরে আসতে হবে। বৌদ্ধদের বৌদ্ধ ধর্মের দিকেই ফিরে আসতে হবে। খ্রিষ্টানদের ফিরে আসতে হবে খ্রিষ্টান ধর্মের দিকে। কেননা, কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়। যদি পরিবর্তন চাই, তাহলে সবখানেই ধর্মের দিকে ফিরে আসতে হবে। কেননা আমরা মুসলিম বিশ্বে হয়তো করলাম কিছুটা; কিন্তু আমরা তো বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে পারব না। টিকতেও হয়তো পারব না। এ জন্য বিশ্বব্যাপী দরকার ধর্মে ফিরে যাওয়ার একটা আন্দোলন। খ্রিষ্টান ও হিন্দুদের যদি এ রকম উদ্যোগ থাকে, এটাকে স্বাগত জানাই। তবে বিজেপির মতো হওয়া উচিত নয়, যেখানে মুসলিমবিরোধী একটা চেতনা আছে। বরং এরকম হতে হবে যে, হিন্দু ধর্মের প্র্যাকটিস এরা পুরোপুরি করবে। নৈতিক মূল্যবোধ পুরা নেবে, আইন থাকলে তাও মানবে। কিন্তু অন্য ধর্মের লোকদের তারা মানবাধিকার দেবে। ইসলামের ক্ষেত্রে একই কথা। এমন হওয়া সম্ভব। পোপ বর্তমানে যেসব কথা বলছেন, তা এ রকমই। ব্যাক টু ফ্যামিলি ভ্যালুস, রিজেক্ট সেকুলারিজম- এ রকম কথাই বলছেন তিনি। চার্চ অব ক্যান্টারবারি এ কথাই বলছেন। কারণ, হয়তো বস্তুবাদ, সেকুলারিজম ও নাস্তিকতার প্রভাব এরা বেশি অনুভব করছেন। এর প্রভাব এই রোবটের মতো লোকগুলোর ওপর কতটা পড়বে, যদি মৌলিক শিক্ষা সংশোধন না করা হয়? হ্যাঁ, এরা পারবেন যদি তাদের দাওয়াত খুব বেশি হয়। তাদের সত্যিকার মুভমেন্ট, সেখানে দাওয়াত থাকবে, যেমন আমরা বলি দাওয়াতের কথা। যেমন ইসলামপন্থীরা যতই ত্রুটিপূর্ণ হোক না কেন, তারা বলে, আমাদের দাওয়াত দিতে হবে, লোকদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। আমরু বিল মারুফ করতে হবে। নেহি আনিল মুনকার করতে হবে। খ্রিষ্টান ধর্মের তাৎপর্যও এটাই। ইসলামে বলা হয়েছে আমরু বিল মারুফ, কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্মে এই মূল কথাটা যে নেই, তা বলা যাবে না। নিশ্চয়ই ঈসা আ: চেয়েছেন যে, ধর্মের কথা অন্যদের বলো। চার্চের এ ব্যাপারে অনেক দায়িত্ব। তাদের ভালো লোকদের অনেক দায়িত্ব আছে এটা করার জন্য। গোটা বিশ্বেই ব্যাক টু রিলিজিয়ন, ব্যাক টু মোরালিটি, ব্যাক টু এথিকসÑ এটা হতে হবে। না হলে মানুষের মুক্তি নেই। মানুষ একেবারেই বর্বর, স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। প্রতারক, বাটপাড়, লোভী হয়ে যাচ্ছে। জাতির ওপর জাতির অত্যাচার, ব্যক্তির ওপর ব্যক্তির অত্যাচার, শ্রেণীর ওপর শ্রেণীর অত্যাচার। আমার মনে হয়, ইতিহাস আমাদের পড়ানো হচ্ছে না। এসএসসিতেও ইতিহাস খুব ভালো করে নেই। তাদের বোধ হয় সীমাবদ্ধতাও আছে, এত সাবজেক্ট কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়াবে। কিন্তু ইতিহাস গড়তে হবে। কিছু হলেও পড়তে হবে। ওপরের দিকে ইতিহাস থাকতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে যে সাবজেক্টই পড়–ক, একটা অংশ ইতিহাসের ওপর পড়া উচিত। শুনেছি, হার্ভার্ডে যে সাবজেক্টেই পড়–ক, ইতিহাস যেহেতু বেসিক একটা নলেজ, এটা পড়তে হবে। এখন আমাদের কোনো কোর্স যদি এক শ’ ত্রিশ ক্রেডিটের হয়, তার মধ্যে আমরা যা পড়াচ্ছি, সবটাই পড়ালাম। কিন্তু অর্ধেক অর্থাৎ ৬৫ ক্রেডিটে পড়ালাম। বাকিটা আমরা দশ সাবজেক্ট পড়লাম। তাহলে একটা ব্যাপক উপলব্ধি হবে। কিভাবে করতে হবে, কবে হবে জানি না। কিন্তু করতে হবে। ইতিহাস ও সাহিত্যকে উপেক্ষা করা যাবে না। ঐতিহাসিকভাবেই মানতে হবে, কালচারের ভিত্তি ধর্মই ছিল। এটা না মানা মানে বাড়াবাড়ি। হিন্দুদের ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্ম প্রাথমিকভাবে। মুসিলমদের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম, আর অন্যরা মাইনর গ্রুপ। খ্রিষ্টানেরা তো অনেক পরে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মই বৌদ্ধদের কালচারের ভিত্তি ছিল। পরবর্তী সময় একটা কালচার এসেছে পশ্চিমাদের থেকে। আমাদের বর্তমান কালচারে একটা মিশ্রণ ঘটছে। দেশে একটা মিক্সড কালচার সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে, যেন এখানে হিন্দু ধর্ম ও ইসলাম মিশে যায়। অথবা এর কাছাকাছি যেন চলে আসে ধর্ম হিসেবে। এখানে মঙ্গল প্রদীপ দিয়ে শুরু করা হবে। কিন্তু আমি মনে করি, মানুষের মৌলিক পরিচয় হচ্ছে ধর্ম। কুরআনও তাই বলে। আল্লাহ পাক সূরা বাকারায় বলেছেন, ‘লা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন’Ñ তোমরা মৃত্যুবরণ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা মুসলিম হয়েছ। অবাক লাগে, আল্লাহ তায়ালা বললেন না যে, আমেরিকান বা পাঞ্জাবি বা ভারতীয় না হয়ে মেরো না। এটা প্রমাণ করে রাব্বুল আলামিনের কাছে মূল পরিচয় হচ্ছে মুসলিম পরিচয়। তাই হিন্দু ধর্ম একজন হিন্দুর আসল পরিচয়। এই পরিচয়ের ভিত্তিতে যদি বাংলাদেশে দু’টি কালচার থাকে, তাতে সমস্যা নেই। এক রাষ্ট্রে কয়েকটা কালচার থাকতেই পারে। ভারত এক রাষ্ট্র হলেও অন্তত বিশটা ভাষা আছে সে দেশে। কী সমস্যা এতে? যে ভাষা বেশি চলে, সেটা রাষ্ট্রভাষা হলো। ইসলাম যারা মানে না, মুসিলম আইডেন্টিটির মধ্যে যেকোনো রকম আপস নেই, এটা তারা বুঝতে পারে না। বিশ্বাসই মানুষের কাজকে, সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই বিশ্বাস আগে ধর্ম থেকে। যে মূল্যবোধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেটা আসছে ধর্ম থেকে। আমি কী মাছ খেলাম, এটা আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। এ দেশের সবজি খেলাম, এটা আমার জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু এটাকেই কিছু লোক প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। এটা করছে মূলত তারা, যারা ইসলামকে সহ্য করতে পারছে না। এটা করছে যারা নাস্তিক বা নাস্তিকের কাছাকাছি তারা। যারা বামপন্থী, যারা না বুঝে মনে করছে আমাদের আর কিছু করার নেই, এখন ইসলামবিরোধিতাই আমাদের একমাত্র কাজ। যেহেতু আমাদের কিছু করার নেই, আমরা কী প্রতিষ্ঠা করবো? সোসালিজম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কমিউনিজম সম্ভব নয়। তাহলে আমরা কাজ নিলাম ইসলামবিরোধিতা করারÑ এমন মনোভাব। তাদের যে ব্যর্থতা তারা তা মানতে পারছে না। তাদের উচিত ছিল ইসলামকে বিচার-বিবেচনা করা। তারপর যদি এটা গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে গ্রহণ করা। কিন্তু সেই বিচার তারা করতে পারছে না। কারণ অন্ধ বিদ্বেষ দ্বারা তারা পরিচালিত। নিজেদের পরাজয় তারা মানতে পারছে না। লেখক: সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার উৎসঃ নয়াদিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Oct, 2016 চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে করণীয় 29 Sep, 2016 মুসলিম সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য 22 Sep, 2016 শিক্ষা, ধর্ম ও পাশ্চাত্য সভ্যতা 15 Sep, 2016 সঙ্ঘাতের মুখে ইসলামি সভ্যতা 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 19 Aug, 2016 ইসলামি অর্থনীতির লক্ষ্য 26 Jul, 2016 মিসরের সামরিক সরকার ও ব্রাদারহুড 12 Jul, 2016 শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ গঠন 29 Jun, 2016 উৎসব পালন : বিভিন্ন দিক 02 Jun, 2016 জাকাত ফেয়ার : এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব 21 May, 2016 কওমি মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কিছু প্রস্তাব 18 Apr, 2016 পুঁজিবাদের অমানবিকতা ও ইসলামি অর্থনীতি 07 Apr, 2016 দি মেসেজ অব দি কুরআন এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাফসির 28 Mar, 2016 সময়ের সদ্ব্যবহার জাতিকে এগিয়ে নেবে 18 Mar, 2016 ইসলামি সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য একত্ববাদ 29 Feb, 2016 ইসলামে আর্থিক সুবিধা পুত্রের চেয়ে কন্যার বেশি 18 Feb, 2016 মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি মৌলিক সমস্যা : সমাধানের উপায় 12 Feb, 2016 অশ্লীল সংস্কৃতি ও ভ্যালেন্টাইন ডে 10 Feb, 2016 গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব 30 Jan, 2016 ইসলাম মানবাধিকার ও পাশ্চাত্য আধুনিকতা 24 Jan, 2016 শহরাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন 29 Dec, 2015 বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া 15 Dec, 2015 দারিদ্র্য বিমোচন : ইসলামের কৌশল 04 Oct, 2015 মানবাধিকার প্রশ্নে ইসলাম Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
চিঠি - Mahasweta's Musings Mahasweta's Musings Search ... Home About This Website I, Me,Myself Contact Info Facebook Posts English Contents Bengali Posts চিঠি Print Email Details Written by Mahasweta Category: সমসাময়িক Published: 20 May 2015 User Rating: 0 / 5 Please Rate Vote 1 Vote 2 Vote 3 Vote 4 Vote 5 আমার কাছে আজকাল আর চিঠি আসেনা। চিঠি মানে কাগজে লেখা চিঠি। যে চিঠি নিয়ে আসার কথা ডাকপিওনের। ডাকে আসে শুধু ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, ক্রেডিট কার্ড বিল, ফর্ম, অ্যাপ্লিকেশন এইসব। কালে-কস্মিনে এক দুটো বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনের চিঠি। শুধু আমার কাছে কেন, কারোর কাছেই মনে হয় আসেনা। জীবন থেকে ক্রিম রঙা পোস্টকার্ড আর নীল রঙা ইনল্যান্ড কাগজ হারিয়ে গেছে। রঙিন ফুল ছাপ রাইটিং প্যাড আর লাল হৃদয়-চিহ্ন আঁকা রংচঙে খাম কিনিনি বহুদিন। আমিও কাউকে চিঠি লিখিনা। আমাকেও কেউ চিঠি লেখে না। কিন্তু বেশ অনেকদিন আগে, যখন এস টিডি ছিল না, মোবাইল ফোন ছিল না, ই-মেল ছিল না, তখন তো এই পোস্টকার্ড আর ইনল্যান্ড-ই ছিল ভরসা। কোলিয়ারিতে চাকরি করা আমার অবিবাহিত বড়মামা নিয়ম করে একটা পোস্টকার্ডে চিঠি লিখতেন প্রতি সপ্তাহে। নিয়মিত সবার খোঁজখবর রাখার জন্য এটাই ছিল তাঁর প্রধাণ যোগাযোগের মাধ্যম। মাঝে মাঝে সেই পোস্টকার্ডের পেছন দিকে কালো কালিতে আঁকা থাকত কোন স্কেচ- চিঠির সাথে উপরি পাওনা। বছরে দু'বার- নববর্ষে আর পুজোর পরে, আমি বসতাম ঠাকুমার সাথে, একতাড়া পোস্টকার্ড আর ইনল্যান্ড নিয়ে। ঠাকুমা চিঠির বয়ান বলে যেতেন, আমি গোটা গোটা অক্ষরে লিখে যেতাম। চিঠি যেত কাছে-দূরে - হিলি, মালদা, শ্যামনগর, কল্যাণী, ভদ্রেশ্বর... সব চিঠির বয়ান প্রায় একই , শুধু সম্বোধনের নামগুলি পালটে যেত। "স্নেহের ভানু ও রেবা...", "স্নেহের পল্টু ও রিনা...", "স্নেহের রুবি ও সুরেন..." - যাঁদেরকে লেখা হত এইসব চিঠি, তাঁদের বেশিরভাগকেই আমি কোন দিন চোখে দেখিনি, বাবার পিসতুতো ভাই, বা মাসতুতো দাদা, এইরকম সব সম্পর্ক। কিন্তু আমি তাঁদের সবার নাম, ঠিকানা, ছেলেমেয়েদের নাম- সব জানতাম। চিঠি লিখে লিখে আর মাঝে মধ্যে পুরোনো অ্যালবামের ঝাপসা হয়ে যাওয়া সাদা-কালো ছবির মধ্যে দিয়েই তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন আত্মার আত্মীয়। শুভকাজে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, শোকে শোকজ্ঞাপন করেছি। ঠাকুমার বকলমে সেই অদেখা মানুষগুলির সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে ছিলাম বহু বছর। তাই বলে কি শুধুই বকলমে লিখতাম? কখনই না। নববর্ষ আর বিজয়ার চিঠি নিজের নামে লিখে গুরুজনদের পাঠিয়েছি। অসুখ হয়ে স্কুলে না যেতে পারলে ক্লাসের প্রিয় বন্ধুদের পাঠিয়েছি লম্বা চিঠি। সে চিঠির উত্তরে এসেছে আরো লম্বা চিঠি। এই চিঠিগুলি দেওয়া নেওয়া করত আমার প্রতিবেশী স্কুলের বন্ধুটি। প্রেমে পড়ে চিঠি লিখেছি পাতার পর পাতা, কাগজ রঙিন হোক বা সাদা। এখন লিখি ই-মেল। বড্ড কেজো, বেশিরভাগ সময়েই তথ্য আদান প্রদান করার কাজে ব্যবহার করা এক যোগাযোগ ব্যবস্থা। মাউসের এক ক্লিকে চিঠি পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর যেকোন কোণে। উত্তর এসে যাচ্ছে হয়তবা কয়েক মূহুর্তের মধ্যেই। বক্তব্যের আয়তন অনুযায়ী ইনল্যান্ড না পোস্টকার্ড বাছাই করতে হয়না, ফাউন্টেন পেন এ সুলেখা কালি ভরতে হয়না, ভুল হয়ে গেলে ঘিচিমিচি করে কাটতে হয় না। লিখতে হয়না অজানা শহরের চেনা ঠিকানা। বেশিরভাগ সময়েই চিঠির শুরুতে কোন সম্বোধন থাকে না। শেষে লেখা থাকেনা -'ইতি...'। হারিয়ে গেছে অপেক্ষা । চিঠি লেখার, চিঠি পাওয়ার, চিঠি পড়ার, চিঠিকে অনুভব করার...বালিশের নিচে ই-মেল নিয়ে ঘুমানো যায় না। (প্রথম লিখেছিলাম ২০১১ সালের মাঝামাঝি, একটি বিখ্যাত বাংলা সংবাদপত্রের সদ্য খোলা ব্লগের সদস্য ব্লগার হওয়ার জন্য উদাহরণ রচনা হিসাবে। যথেষ্ট উত্তেজনা উৎপাদনকারী লেখা নয়। তাই লেখা এবং আমি দুজনেই বাতিল ) Created: 20 May 2015 Last Updated: 08 August 2016 Hits: 829 গদ্য বিবিধ গদ্য Prev Next You are here: Home Bengali Posts গদ্য সমসাময়িক চিঠি Tweet বাঙলা লেখালিখি ছড়া-কবিতা (0) হাইকু (0) লিমেরিক (2) বিবিধ ছড়া-কবিতা (3) গদ্য (0) পুরানো সেই দিনের কথা (2) সমসাময়িক (5) বিবিধ গদ্য (1) গল্প (0) সিনেমা-টিনেমা (1) খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি (1) ফটোগ্রাফি (0) টুকিটাকি (0) গানের আসর (0) জগত জোড়া জাল ছেঁকে (2) English Posts Prose (3) Trials with Verse (1) My Social Updates Tweets by @mahaswetaray My Pins @ Pinterest Visit Mahasweta's profile on Pinterest. Popular Tags things i found on the internet 2015 ২০১৬ গদ্য বিবিধ ছড়া-কবিতা Prose পুরানো সেই দিনের কথা সমসাময়িক Creative Inspirations Painted Paper In The Art Room Wee Folk Studio Paintings by Polly JonesJoanne Sharpe Art Alisa Burke -Redefining Creativity Stitch Journal BrightSide Art For Elementary Teachers Reading Delights (পড়তে ভাল লাগে) Messy Nessy Chic The Unreal Times The Ladies Finger Luann-on GoComics Youth Ki Awaaz Scandinavia & The World Lonely Traveler The Oatmeal শিশিরবিন্দু বঙ্গদর্শন সপ্তডিঙ্গা শুদ্ধ বানান চর্চা অন্যদেশ Author Login Back to Top © 2016 Mahasweta's Musings
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সংস্কৃতি এবং এর নিয়ন্ত্রণ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম শাহ আবদুল হান্নান [email protected] সংস্কৃতি এবং এর নিয়ন্ত্রণ 18 September 2015, Friday সংস্কৃতি ও অবক্ষয় এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এ নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তির কারণে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি কী এবং এ দেশের সংস্কৃতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য কী, তা নিয়ে তর্ক ওঠে। ফলে সংস্কৃতির মূল বিষয় নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। সংস্কৃতি কী? সংস্কৃতি কী এবং কী নয়, এ সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে শত বছর ধরে। এ বিতর্ক আরো বেড়ে যায় মার্কসবাদের উত্থানের পর। মার্কসবাদের উত্থানের পর একটি নতুন দর্শন আসে ‘আর্ট ফর লাইফ সেক’ নামে। তখন এ নিয়ে একটি বিতর্ক দেখা দেয় যে, ‘আর্ট ফর আর্ট সেক’ না ‘আর্ট ফর লাইফ সেক’ আগে এ বিতর্ক ছিল না। কমিউনিস্টরা এ বিতর্ক তুলে ধরে। এটি করতে গিয়ে তারা বাড়াবাড়িও করে। আর্ট এখানে সংস্কৃতি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সংস্কৃতির ভেতর যে একটি সৌন্দর্য থাকতে হবে, তা তারা হাইলাইট করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। তারা পুরোপুরি এটিকে উপেক্ষা করে। অন্য দিকে যারা ‘আর্ট ফর আর্ট সেক’-এর পক্ষে, তারাও এ ইস্যুর রাজনীতিকরণ করে। তারা বলেন, আর্ট আর্টের জন্য। অর্থাৎ এর মধ্যে সৌন্দর্য থাকতে হবে। সৌন্দর্যের চেতনা থাকতে হবে। যা কিছুই সুন্দর করে এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত করে জীবনের বিভিন্ন দিককে, সাহিত্যকলায়, তাই সংস্কৃতি। সংস্কৃতির প্রশ্নে যদি আমরা সুবিচার করতে চাই, তাহলে সেখানে আর্ট বা সংস্কৃতিতে দুটো দিকই থাকতে হবে। জীবনের জন্য তা প্রয়োজনীয় হতে হবে। জীবনের জন্যই হবে, জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। এর মাধ্যমে জীবনকেই ধারণ করতে হবে। এটিই সত্য কথা। অন্য দিকে এটিও সত্য, যা কিছু সুন্দর নয়, তা আর্ট বা সংস্কৃতি হবে না তা জীবনের জন্য হলেও। কাজেই দু’টি উপাদানই প্রয়োজন। দু’টিই সত্য। এ বিতর্কের পরিসমাপ্তির প্রয়োজন রয়েছে। এ তাত্ত্বিক কথার বাইরে বলা যায়, সংস্কৃতির বহু দিক রয়েছে। বহু ডাইমেনশন রয়েছে। সাহিত্য, শিল্প, সিনেমা, নাটক, সবই সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতির ভিত্তি সংস্কৃতিকে কয়েকটি ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে। সুস্থ বিশ্বাসের ওপর সংস্কৃতিকে দাঁড় করাতে হবে। যদি দুর্নীতিগ্রস্ত চিন্তার বা করাপটেড থটের ওপর সংস্কৃতি দাঁড়ায়, সে সংস্কৃতিও দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। কারণ, বিশ্বাস আচরণকে প্রভাবিত করে। সংস্কৃতি হচ্ছে আচরণ। তার পেছনে রয়েছে বিশ্বাস। এ বিশ্বাস দুর্নীতিগ্রস্ত হলে আচরণও তাই হবে। বিশ্বাস সুস্থ হলে সেটিও সুস্থ হবে। এখানে মুসলিম জাতির কথা বললে এর ভিত্তি অবশ্যই তৌহিদ হতে হবে। তৌহিদ বলতে আমরা বুঝি একজন মাত্র স্রষ্টা রয়েছেন। সব সৃষ্টির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা মানুষ। আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তার মিশনকে এ বিশ্ব ও আকাশ সর্বত্র কার্যকর করা। এ জন্য মুসলিম সংস্কৃতিকে সব সময়ই শিরকম্ক্তু হতে হবে। মুসলিম সংস্কৃতি এমন হতে হবে, যেন খলিফার মর্যাদা রক্ষা পায়। তার যে প্রতিনিধি মানুষ, তার সাথে খাপ খায়। অর্থাৎ তা ভদ্র হতে হবে। সৌন্দর্যমণ্ডিত হতে হবে। মার্জিত হতে হবে। অমার্জিত হলে চলবে না। এটি অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে। কাজেই সংস্কৃতির প্রথম ভিত্তি বিশ্বাস। ইসলামের ক্ষেত্রে এটি তৌহিদ। তেমনি যদি আমরা ইসলামের বাইরে গিয়ে দেখি, তাহলে অমুসলিমদের মধ্যেও সুস্থ বিশ্বাস থাকতে হবে। তা তৌহিদ নাও হতে পারে। তা আমার দৃষ্টিতে সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে যা-ই হোক না কেন, যদি স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস থাকে, মানবতাবাদী হয় তাহলে তার ওপরেও যে সংস্কতি গড়ে উঠবে, সেটিও ভালো হবে। অমুসলিমদের সংস্কৃতিও ভালো হবে, যদি তা সুস্থ বিশ্বাসের ওপর হয়। তাদের ক্ষেত্রে তা স্রষ্টার ওপর হতে হবে। যদি নাস্তিকতার ওপর হয়, তাহলে ক্ষতি হবে। যদি স্রষ্টার অস্তিত্বের ওপর ভিত্তিশীল হয়, তাহলে তা নাস্তিকতার চেয়ে অনেক ভালো হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তা যদি মানবতাবাদী হয়, তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। কিন্তু তা যদি জাতিপূজা বা গোত্রপূজা হয়, তাহলে সেটি হবে অসুস্থ সংস্কৃতি। তাহলে আমরা বলতে পারি, সংস্কৃতির জন্য সুস্থ বিশ্বাস লাগবে। দ্বিতীয়ত, তা অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে। যদিও এটি প্রথমটির সাথে সম্পর্কযুক্ত। যদি সংস্কৃতি সুস্থ বিশ্বাসের ওপর হয়, তাহলে তা অশ্লীলতামুক্ত হবেই। কারণ, কোনো সুস্থ বিশ্বাসই বলে না অশ্লীলতা ভালো। এ সংস্কৃতি অবশ্যই মানবজাতির কল্যাণের জন্য হতে হবে। সংস্কৃতিকে মানবজাতির উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। মানবতাবাদী হতে হবে। কল্যাণধর্মী হতে হবে। সংস্কৃতির আরেকটি ভিত্তি হচ্ছে সৌন্দর্য-চেতনা। এখানে সুন্দর চেতনা থাকতে হবে। কোনো কিছুই অসুন্দর করা যাবে না। কাজেই সার্বিকভাবে বলা যায়, সংস্কৃতির ভিত্তির জন্য একটি সুস্থ বিশ্বাস লাগবে। মানবতাবাদী ও মানুষের প্রয়োজনে হতে হবে। অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে। কল্যাণধর্মী হতে হবে এবং সৌন্দর্য-চেতনামণ্ডিত ও সৌন্দর্য-বুদ্ধিমণ্ডিত হতে হবে। সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ সংস্কৃতি কি মানুষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত? নিয়ন্ত্রিত হলে কতটুকু? এটি আসলে ইয়েস ও নো’র প্রশ্ন। এটি ঠিক যে, সংস্কৃতিকে মানুষ নির্মাণ করে। একা এক ব্যক্তিই সংস্কৃতি নির্মাণ করে না। অনেকে মিলে, অনেক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সংস্কৃতি শত বছরে, হাজার বছরে গড়ে ওঠে। তাই যদি হয়, তাহলে এটি কে গড়ল? মানুষ গড়ল। কিন্তু কোনো এক ব্যক্তি বা এক প্রজন্মের বা এক বংশের এর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ জন্যই আমি বিভিন্ন সময় বলে থাকি, সংস্কৃতি নিয়ে খেলা চলবে না। সংস্কৃতি মানুষের গভীর চেতনা থেকে উৎসারিত। এটি খুব স্পর্শকাতর। সংস্কৃতি নিয়ে সাবধানে এগোতে হবে। আমার অনেক কিছুই পছন্দ হবে না, কিন্তু সেটিকে সরাতে হবে ধীরে ধীরে। ধৈর্য ধরে সরাতে হবে। যেটি রাখলে চলে, সেটি রাখতে হবে। কারণ, ইসলামের শুরুতেই রাসূল সা: সরাসরি ইসলামবিরোধী নয়- এমন স্থানীয় রীতিনীতি, আচার-আচরণকে মেনে নিয়েছিলেন। তিনি আরব প্রথাকে মেনে নিয়েছিলেন। ইবনে তাইমিয়ার একটি বিখ্যাত ফতোয়া আছে, যেকোনো দেশের স্থানীয় কাস্টমস বা রীতিপ্রথা যদি সরাসরি ইসলামবিরোধী না হয়, একেবারে সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে সেটি থাকবে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন মতামতকে মানতে হবে। এখানে বিভিন্ন মত-পথের স্বীকৃতি আমাদের দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী ইসলামের যে সংস্কৃতি, তা তো একেক দেশের একেক সংস্করণ। ইন্দোনেশিয়ার ইসলামি সংস্কৃতি রূপে-রসে-রঙে একই সাথে ইসলামিক হবে, ইন্দোনেশিয়ানও হবে এবং তার মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না। সংস্কৃতির ভেতর যদি সুস্পষ্ট ইসলামবিরোধী কোনো মৌল উপাদান না থাকে, তাহলে তা ইসলামি সংস্কৃতি হতে বাধা নেই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তেমনিভাবে তা প্রযোজ্য মরক্কো, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। প্রত্যেকের নিজস্ব রঙ হবে। আমার মনে হয়, এটি অনেকটা এ রকম হবে যে, একই বাগানে ইসলাম তার মধ্যে ১০০টি ফুলগাছ। এ বিষয়গুলো ইসলামি সংস্কৃতি কর্মীদের ভেবে দেখা দরকার। এ বিষয়টি বিচার করে দেখা দরকার। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে সংস্কৃতি কতটুকু ভিন্ন থাকবে, বলা মুশকিল। আমার মনে হয়, সংস্কৃতির অনেক কিছু এক হয়ে যাবে। যেমন- পোশাক-পরিচ্ছদ বিশ্বব্যাপী ক্রমেই কাছাকাছি চলে আসতে পারে। এটি অসম্ভব নয়। স্বীকার করতে হবে, ইতোমধ্যেই পুরুষপোশাকের ক্ষেত্রে শার্ট-প্যান্ট প্রায় এক হয়ে গেছে। যদিও নারীপোশাকের ক্ষেত্রে ঠিক অন্য রকম হয়েছে। মুসলিম বিশ্বে তো নারীর পোশাক নানাভাবে অন্য রকমই রয়ে গেছে। ফলে আমি মনে করি, অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি এলেও যেসব ক্ষেত্রে এক হবে না, সেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে যাবে। যেমন- খাওয়া-দাওয়া, এর উপকরণাদি একেক জায়গায় একেক রকম থেকে যাবে। আবার প্রতিটি এলাকার নিজস্ব গানের সুর আলাদা থেকে যাবে। প্রতিটি এলাকার নিজস্ব প্রকৃতি, নদী, সমুদ্র, বন, ফসল ও মাঠ আছে। এর এক ধরনের আলাদা সুর আছে। সুতরাং গানে, সঙ্গীতে এ পার্থক্য থেকে যাবে। প্রতিটি এলাকার জনগোষ্ঠীর নিজস্বতার জন্য এবং অন্য জনগোষ্ঠী ও এলাকার ভিন্নতার জন্য সাহিত্যেও একটি পার্থক্য থেকে যাবে। আমাদের অবশ্যই পরিকল্পিত সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে। ‘লা ইকরাহা ফিদদ্বিন’-এর ভেতরও এ তাৎপর্য রয়ে গেছে। রাসূল সা: ইহুদিদের সাথে প্রথম চুক্তিতেই তাদের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা দিয়েদিলেন। সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা দিলেন। এটি প্রমাণ করে, সংস্কৃতিকে জোর করে বদলে দেয়া ইসলামও নয়, মানবতাও নয়। এখানে আগ্রাসনের ব্যাপারেও আমাদের এ দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। পাশ্চাত্যের কালচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও বস্তুবাদের ওপর ভিত্তিশীল। বস্তুবাদ হলো ভোগবাদ ও স্বার্থপরতা। এর কারণেই কালচার খুব নোংরা হয়ে গেছে। কালচার নারীকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। নারীর অপব্যবহারকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার যে প্রবণতা তা রুখতে হবে। এটিকে রুখতে পশ্চিমাদের মধ্যে যারা ভালো তাদেরকেও উৎসাহিত করতে হবে। পশ্চিমা বস্তুবাদ নাস্তিকতা না হলেও নাস্তিকতার কাছাকাছি। এটির বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ বস্তুবাদ মানবতার জন্য কল্যাণকর নয়। বিনোদনের সংস্কৃতি সংস্কৃতির বাইরে কোনো মানুষ হতে পারে না। সমাজ হতে পারে না। তাই তার পক্ষে সংস্কৃতিবিমুখ হওয়াও সম্ভব নয়। আবার প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটি সংস্কৃতি আছে। কেউ দেশের গান পছন্দ করে, কেউ হামদ-নাত পছন্দ করে। এটি হলো একটি দিক। আর গানবাজনা হলো কালচারের বাইরের একটি দিক। যদিও এগুলোই বেশি, তার পরও এসব কিছু কালচারের মূল দিক নয়। কালচারের মূল দিক হচ্ছে- জীবনাচার, পুরো জীবন। প্রতিটি কথা, প্রতিটি উচ্চারণ, বক্তব্য, চলাচল, ভ্রমণ, কথন- সবকিছু হচ্ছে তার কালচার। আমরা খুব গভীরভাবে না দেখার কারণে গান-নাচকেই বড় ভেবে এসব বিষয়কে ছোট ভাবি। আমরা বিনোদনের নামে যা খুশি তাই করতে পারি না। জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিনোদন। বিনোদন প্রয়োজন। আধুনিক বিশ্বে বিনোদনকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষের দৈনিক জীবনের একটি বড় অংশ রাস্তায় চলে যায়। তার সাথে অফিসের সময়। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ ব্যস্ত। এ অবস্থায় তার জন্য অবশ্যই একটি সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিনোদনকে সুস্থ হতে হবে। অসুস্থ হওয়া যাবে না। অশ্লীল হওয়া যাবে না। আসলে বিনোদনের মধ্যে একটি সীমা থাকতেই হবে। সে সীমা থাকতে হবে আইন ও কাস্টমসের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে স্বাধীনতার নামে আমরা কদাচারকে অনুমোদন করতে পারি না। আমরা এমন স্বাধীনতা চাই না, যে স্বাধীনতা মানুষকে অমানুষ বানায়। লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার উৎসঃ নয়া দিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Oct, 2016 চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে করণীয় 29 Sep, 2016 মুসলিম সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য 22 Sep, 2016 শিক্ষা, ধর্ম ও পাশ্চাত্য সভ্যতা 15 Sep, 2016 সঙ্ঘাতের মুখে ইসলামি সভ্যতা 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 19 Aug, 2016 ইসলামি অর্থনীতির লক্ষ্য 26 Jul, 2016 মিসরের সামরিক সরকার ও ব্রাদারহুড 12 Jul, 2016 শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ গঠন 29 Jun, 2016 উৎসব পালন : বিভিন্ন দিক 02 Jun, 2016 জাকাত ফেয়ার : এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব 21 May, 2016 কওমি মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কিছু প্রস্তাব 18 Apr, 2016 পুঁজিবাদের অমানবিকতা ও ইসলামি অর্থনীতি 07 Apr, 2016 দি মেসেজ অব দি কুরআন এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাফসির 28 Mar, 2016 সময়ের সদ্ব্যবহার জাতিকে এগিয়ে নেবে 18 Mar, 2016 ইসলামি সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য একত্ববাদ 29 Feb, 2016 ইসলামে আর্থিক সুবিধা পুত্রের চেয়ে কন্যার বেশি 18 Feb, 2016 মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি মৌলিক সমস্যা : সমাধানের উপায় 12 Feb, 2016 অশ্লীল সংস্কৃতি ও ভ্যালেন্টাইন ডে 10 Feb, 2016 গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব 30 Jan, 2016 ইসলাম মানবাধিকার ও পাশ্চাত্য আধুনিকতা 24 Jan, 2016 শহরাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন 29 Dec, 2015 বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া 15 Dec, 2015 দারিদ্র্য বিমোচন : ইসলামের কৌশল 02 Dec, 2015 ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: পাক-ভারত উত্তেজনা : সার্ক- কাশ্মির-বেলুচিস্তান Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুম খলিলী [email protected] পাক-ভারত উত্তেজনা : সার্ক- কাশ্মির-বেলুচিস্তান 24 September 2016, Saturday কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী এক যুব নেতার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অব্যাহত উত্তেজনা প্রশমন না হতেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখার ৬ কিলোমিটার ভেতরে উরি সেনানিবাসে সন্ত্রাসী ধরনের হামলায় ১৭ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন রূপ নিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল অনেক বেশি তীব্র এবং সর্বাত্মক। ঘটনার সাথে সাথেই ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। পাকিস্তান অবশ্য বলেছে ভারতে কিছু ঘটলে এর তদন্ত না করেই পাকিস্তানকে দায়ী করা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনার ব্যাপারে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভাষা যাই হোক না কেন, ঘটনার পরপরই এর নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের সব নেতৃস্থানীয় দেশ। এমনকি পাকিস্তানও এর নিন্দা জানিয়েছে। তবে একই সাথে কাশ্মির সঙ্কটের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান ও ভারত মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরস্পরের প্রতি বৈরী দুই প্রতিবেশী। এই বৈরিতা তাদের মধ্যে এমন অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করেছে যে, ইসলামাবাদ মনে করে, পাকিস্তানকে বিখণ্ডিত এমনকি অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য তার বৃহৎ প্রতিবেশী সব সময় সক্রিয়। আর এটি ভারতের প্রধান স্থপতি জওয়াহের লাল নেহরুর চিন্তা-দর্শনের একটি অংশ, যেটি স্বল্প ব্যতিক্রম ছাড়া দেশটির সব সরকারপ্রধান বিশ্বাস করেন। অন্য দিকে, ভারতের অনেক শীর্ষ নেতাই মনে করেন, পাকিস্তান সব সময়ের জন্যই ভারতের অখণ্ডতা ও স্থিতির জন্য হুমকি। দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নতাবাদের পেছনে গোপন ইন্ধন রয়েছে পাকিস্তানের। বিশেষত কাশ্মিরে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে তার পেছনে সক্রিয় হাত রয়েছে ইসলামাবাদের। এ ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গুলি নির্দেশ থাকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের মুজাহিদদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি। ভারত সব সময় এসব সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সে দেশে পরিচালিত বেশির ভাগ সন্ত্রাসী ধরনের ঘটনার পেছনে তাদের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করে। ভারত পাকিস্তান পরস্পরের প্রতি এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ বা একে অন্যকে ঘায়েল করার এই প্রক্রিয়া গত ৬ দশক ধরে চলে আসছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনার তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। পাকিস্তানের দিক থেকে একসময়ের দেশটির পূর্বাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশকে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হয়। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়গুলোকে দেশটির অনেকেই অস্বীকার করেন না, কিন্তু এসবকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কাজে লাগিয়েছে বলে অনেক পাকিস্তানি নেতা বিশ্বাস করেন। এই বিশ্বাসকে বাস্তব হিসেবে প্রমাণ করতে অনেক তথ্য-উপাত্তও তুলে ধরা হয়। আর ভারতের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারে তাদের পূর্বাপর ভূমিকাকে অর্জন হিসেবে তুলে ধরা হয়। এই বিষয়টি পাকিস্তানি নেতাদের মন এবং মননে দেশটিকে বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সব সময় আতঙ্কিত করে রাখে। আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানে ষোড়শ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মাত্র দেড় মাসের কম সময়ের মধ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পূর্বাপর যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেগুলো রুটিন অনুযায়ী হচ্ছে। কিন্তু কোনোটাই সেভাবে ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এ সময়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে যেমন হরতাল কারফিউ সেনা ও পুলিশের গুলিতে শতাধিক কাশ্মিরির মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে, তেমনি বেলুচিস্তানের ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদির স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই বক্তব্যে তিনি বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতার প্রতি তার সহানুভূতি ও সমর্থনের কথা প্রত্যক্ষভাবে বিবৃত করেছেন। এর পরপরই উরির সেনানিবাসে বন্ধুকধারীদের গুলিতে ১৭ সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা দৃশ্যত সেখানে লড়াইরত বিচ্ছিন্নতবাদী বা স্বাধীনতাকামীদের তৎপরতার অংশ হিসেবে দেখা স্বাভাবিক। ভারতের মিডিয়াতেও সেভাবে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সেখানকার সরকার এবং বিরোধী দলের বক্তব্যের সুরও অনেকটা সে রকম। কিন্তু পাকিস্তানি অনেক মিডিয়ার মূল্যায়নে এ ঘটনাকে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘ফলস প্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গোপন তৎপরতার মাধ্যমে তাদের টার্গেট করা দেশের ওপর অভিযোগ চাপিয়ে দেয়ার জন্য ঘটনা ঘটিয়ে সেটিকে একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত করতে চেষ্টা করে এ ধরনের অভিযানে। এসব ঘটনা এমনভাবে সাজানো হয়, যাতে এটি যে দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, সেই দেশের ইন্ধনেই সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়। এর আগে পাঞ্জাবের শিয়ালকোট সেনানিবাসের হামলা এবং তাজমহল হোটেলের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলাসহ একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে এ ধরনের যোগসূত্র রয়েছে বলে পাকিস্তানি মিডিয়ার বিভিন্ন বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে। এসব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে কোনটি প্রকৃত পক্ষে সত্য সেটি নিরূপণ করার মতো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া বেশ কঠিন। তবে কিছু বিষয় অবলোকন করলে এটি স্পষ্ট হয় যে, উরির এই সন্ত্রাসী ঘটনার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হতে পারে সুদূরপ্রসারী। এর সাথে তিনটি বিষয়ের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করা। এ জন্য ইতোমধ্যে ভারতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি ভারত, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সার্ক সম্মেলন বয়কট করার ডাক দিতে বলেছেন। তিনি উরির ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বক্তব্যে তার রাষ্ট্রদূত আফগান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই যে এটি করেছে তা স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উরির ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে যে বাণী দিয়েছেন, তার সুর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের নেয়া পদক্ষেপে পাশে থাকার ইঙ্গিত বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন। এর আগে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বেলুচিস্তানের ব্যাপারে মোদির রাখা বক্তব্যকে সমর্থন করে বাংলাদেশ শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি নীতিবিবৃতি প্রকাশ করবে বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের এই প্রকাশ্য অবস্থান অচিরেই বিবৃত হতে পারে। আর এরই মধ্যে ভারতের নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে জোট গঠনের কথা বলছেন, সেটি একটি অবয়ব নিতে পারে। এই জোটে সার্কের সবচেয়ে দুর্বল দেশ হিসাবে খ্যাত ভুটানও যুক্ত হতে পারে। আর নেপাল মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা নিতে পারে নিরপেক্ষ অবস্থান। তবে সার্কের গঠনতন্ত্র অনুসারে কোনো একটি সদস্য দেশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় না। ফলে পাকিস্তানে নির্ধারিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান যে একবারে অনিশ্চিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ক্ষেত্রে নয়া দিল্লি এবং এর সহযোগিরা উরির ঘটনাকে দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে না পারার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করতে পারে। এ ব্যাপারে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান যাই করার চেষ্টা করুক না কেন, ভারত পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়ার ব্যাপারে কোনো অবস্থান নিয়ে থাকলে সেটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এই পদক্ষেপের সাথে অদূরভবিষ্যতে সার্ক সংস্থাটিই একটি অকার্যকর সংগঠনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সেটি দিল্লি চাইছে কিনা এ মুহূর্তে সিদ্ধান্তে আসা মুশকিল। তবে সংশ্লিষ্ট অন্য দু’টি প্রসঙ্গ পর্যালোচনা করলে একটি ধারণা এ ব্যাপারে পাওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় প্রসঙ্গটি হলো বেলুচিস্তান। উরির ঘটনার আগেই বেলুচিস্তান প্রসঙ্গকে আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে নিয়ে আসেন নরেন্দ্র মোদি দিল্লির লাল কেল্লা থেকে তার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে। বেলুচ ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে আসার জন্যই কাশ্মিরে উত্তেজনা সৃষ্টির ফাঁদে পাকিস্তানকে ফেলা হয়েছে কিনা বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে কাশ্মিরের অনেক নেতার বক্তব্য এবং মিডিয়ার মূল্যায়নে বেলুচ ইস্যুটিকে একটি সুদূরপ্রসারী ঘটনা ঘটানোর প্রচেষ্টার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোদির বক্তব্যের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বেলুচিস্তানের ঘটনার সাথে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ঘটনার তুলনা করে দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একই ঘটনা বেলুচিস্তানে ঘটার ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর পরই বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে বিভিন্ন দেশে ভারতীয় কর্মকর্তাদের যোগাযোগ এবং তাদের কাউকে কাউকে ভারতে আশ্রয় বা ভ্রমণের জন্য ভিসা দেয়া তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। ইতোমধ্যে ভারতীয় নেতারা পাকিস্তানকে এক ঘরে করার সর্বাত্মক অঙ্গীকারের কথা বিবৃত করেছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বাকি বিশ্বকেও এটি করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ইসলাম মানে সন্ত্রাস এরকম একটি প্রচারণা চালানোর যে প্রবণতা একটি অংশের মধ্যে রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগানোর কৌশল এ ক্ষেত্রে ভারত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সার্ক বানচাল এবং বেলুচ ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসার সাথে সাথে আরেকটি ইস্যু তুলে আনা হয়েছে, সেটি হলো পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর থেকে চীনের কাসগড় পর্যন্ত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের যে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সেটির ব্যাপারে। ৪৬ বিলিয়ন ডলারের এই মেগা প্রকল্পটি চীনের ভূ-কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘ওয়ান বেল্ট’ নীতির অংশ হিসেবে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ভারত শুরু থেকে এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এখন এ ব্যাপারে চাপকে তার মিত্রদের সাথে নিয়ে সর্বাত্মক করতে চাইছে। এই প্রকল্পের মূল অংশ বেলুচিস্তানে বলে বেলুচ ইস্যুটিকে হয়তোবা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। আর এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তৃত হওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানের মতো দেশগুলোও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে, চীন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এতটাই সিরিয়াস যে, বেলুচিস্তানের ব্যাপারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে যে ভাষায় বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে সেটি অতীতে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে পাকিস্তান-ভারত যে উত্তেজনা এখন সৃষ্টি হয়েছে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পুরো উপমহাদেশেই যে পড়বে তাতে সংশয়ের অবকাশ কমই রয়েছে। পাকিস্তানকে ভাঙা বা দুর্বল করা ভারতের দেশটির প্রারম্ভিক সময় থেকে অনুসৃত কৌশল। অন্য দিকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ বা এ ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে ব্যতিব্যস্ত রাখতে পারলে ভারত তার হাত আশপাশে সম্প্রসারিত করতে পারবে না বলেই পাকিস্তানের অনেক নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষক মনে করেন। ফলে এক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা অন্য দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু এই অবিশ্বাস ও পরস্পরের বিরুদ্ধে তৎপরতা পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থির করে তুলছে। এতে কোনো পক্ষ যে সাফল্যের পথে তরতর করে এগিয়ে যাবে, এমনটি মনে হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ভারতের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত এই লেখায় পাঁচটি কারণে ভারত পাকিস্তানকে এক ঘরে করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে সফল হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রথম কারণ হলো উরি হামলার ব্যাপারে বিশ্বের নিন্দার ভাষাটি খুব গভীর নয়। যুক্তরাজ্য তাদের বিবৃতিতে এটিকে ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির হিসেবে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এর নিন্দা করেছে পাকিস্তানের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করেই। রাশিয়া বলেছে, আমরা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, নয়া দিল্লি পাকিস্তানি ভূখণ্ড থেকে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। এসব বক্তব্য ভারতের অবস্থানকে জোরারোভাবে সমর্থনের প্রমাণ দেয় না। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো পাকিস্তান পরাশক্তিগুলোর কাছে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে এখনো প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে অনেক সুবিধা এনে দিচ্ছে। তৃতীয়ত, জাতিসঙ্ঘের অবরোধ কমিটিতে পাকিস্তানভিত্তিক ‘জঙ্গি সংগঠনের’ নেতাদের কারো ব্যাপারে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার যে উদ্যোগ ভারত নিয়েছে, তাতে চীন বাধা দিয়েছে। পাকিস্তানের সাথে চীনের এই সম্পর্কের সাথে অনেক বড় দেনা পাওনার বিষয় যুক্ত রয়েছে। ফলে চীন পাকিস্তানের বিপক্ষে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। চতুর্থত, বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র দু’দিকে খেলার নীতি অনুসরণ করে আসছে। এর একটি বড় কারণ হলো পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। আফগানিস্তানে যতদিন আমেরিকান সৈন্য অবস্থান করবে ততদিন এর ব্যতিক্রম দেশটি করবে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্র তার ভারসাম্যমূলক নীতি অব্যাহত রাখতে পারে। পঞ্চমত, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ফোরাম ওআইসির সমর্থন পাকিস্তান সবসময় লাভ করে। এই ইস্যুতেও ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেলের বক্তব্যে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সবকিছুর পরও দিল্লি এই ইস্যুতে অনেক দূর আগাতে হয়তো পারে যদি এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিকভাবে পাশ্চাত্য কোনো সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান নিয়ে থাকে। যদিও এই অবস্থান নিলেই যে পাকিস্তানকে ভেঙে ফেলা যাবে বলে মনে হয় না বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বিশ্ব বাস্তবতার জন্য। আর আমেরিকান কংগ্রেসে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার জন্য দু’জন কংগ্রেসম্যানের যে বিল উত্থাপনের কথা বলা হচ্ছে, সরকারের শেষ বেলায় তার প্রতিকী গুরুত্বের বাইরে বেশি তাৎপর্য আছে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক বিভিন্ন কারণে অবনতি ঘটেছে এবং আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে হয়। এমনকি এশিয়াতে চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে কৌশলগত মিত্র হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি দিল্লি-ওয়াশিংটন হওয়ার পরও ভারসাম্যের বড় রকমের পরিবর্তন নাও হতে পারে। পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব যত বাড়ছে, তত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রুশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। ওয়াশিংটন এফ-১৬ বিমান সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের সাথে সাথে পাকিস্তান উন্নত প্রযুক্তির বিমান ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। আর চীনকে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সব পরিস্থিতিতে পরীক্ষিত বন্ধু। এসব বিবেচনায় আনা হলে মনে হবে না একতরফা কোনো কিছু করার মতো পরিবেশ এখন আর দক্ষিণ এশিয়ায় আছে। তবে এখানকার আঞ্চলিক সহযোগিতার কাঠামো যেভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যদি সত্যি সত্যিই পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বানচাল করা হয়। এখান থেকে ভারত যদি কিছু অর্জন করতে পারে, সে জন্য তাকে যে মূল্য দিতে হতে পারে সেটি কোনোভাবেই কম হবে না। বাস্তবতা হলো ভারত ও পাকিস্তান দু’টিই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আমেরিকাও এখন আর বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় নয়। উৎসঃ dailynayadiganta.com পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 06 Oct, 2016 সৌদি ৯/১১ আইন, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা 29 Sep, 2016 দক্ষিণ এশিয়ায় রণ হুঙ্কার 16 Sep, 2016 ট্রাম্পের হঠাৎ উত্থান 09 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 08 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 01 Sep, 2016 হঠাৎ কেন বেলুচিস্তান? 25 Aug, 2016 হিলারি-ট্রাম্পের ইহুদি সংযোগ 13 Aug, 2016 এরদোগানের রাশিয়া সফরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভারসাম্য আসবে? 04 Aug, 2016 প্রচণ্ডের ক্ষমতায় ফেরা : হার-জিতের সমীকরণ 28 Jul, 2016 ট্রাম্প ডকট্রিনে বিশ্ব পরিণতি 24 Jul, 2016 রুশ-চীন-ইরান বলয়ের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক? 14 Jul, 2016 ভূরাজনৈতিক রণক্ষেত্রে পরিণত বাংলাদেশ! 01 Jul, 2016 অনিশ্চয়তার পথে বাহরাইন 17 Jun, 2016 কতটা বরফ গলছে রুশ-তুর্কি সম্পর্কে 10 Jun, 2016 রবিনহুডের বাজেট! 02 Jun, 2016 হিমঘরের খরচ কমবে বাজেটে! 19 May, 2016 অবিস্মরণীয় জয় মমতার 12 May, 2016 তুরস্কে রাজনৈতিক সঙ্কটের পরিণতি 06 May, 2016 অখণ্ডতার চ্যালেঞ্জ জয়ে নতুন পথে সৌদি আরব 21 Apr, 2016 মুসলিম বিশ্বের হানাহানিকে দীর্ঘ করতে নতুন তত্ত্ব 31 Mar, 2016 প্রতিবেশী দুই ভারতীয় রাজ্যে নির্বাচন 22 Mar, 2016 সিরিয়াকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ভাঙা-গড়ার খেলা 17 Mar, 2016 অর্থনীতিতে এ কেমন ওলটপালট 10 Mar, 2016 মালয়েশিয়ায় মাহাথির-নাজিব সম্মুখ সমর! 25 Feb, 2016 ওবামাই কি আমেরিকার শেষ প্রেসিডেন্ট? Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ট্রাম্পের হঠাৎ উত্থান Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুম খলিলী [email protected] ট্রাম্পের হঠাৎ উত্থান 16 September 2016, Friday এবারের আমেরিকান নির্বাচন নিয়ে রহস্যের কোনো অন্ত নেই। যিনি ক্লাউন মার্কা ইমেজ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাবেন বলে একসময় কেউই ভাবতে পারেননি সেই ট্রাম্প দাপটের সাথে এবং শেষ দিকে অনেকটা একতরফাভাবে জয় করেছেন রিপাবলিকান মনোনয়ন। এখন তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আমেরিকান জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারিকে ছাড়িয়ে গেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ও ইউএসসি ট্রাকিংয়ের জরিপে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ের সম্ভাব্য আমেরিকান ভোটারদের ৪৭ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন আর হিলারিকে করছেন মাত্র ৪২ শতাংশ। একই দিন রয়টার ও ইপসোসের জরিপে বলা হয়েছে, দুই প্রার্থীর সমর্থন এখন সমান সমান। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো বেশ কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্য যেখানে ক’দিন আগেও হিলারি অগ্রসর অবস্থানে ছিলেন সেখানে এগিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ট ট্রাম্প। সিএনএন ও ওআরসির জরিপ অনুসারে ফ্লোরিডাতে ৪ পয়েন্ট, ওহাইয়োতে ৫ পয়েন্ট আর নেভাদাতে ২ পয়েন্টে ট্রাম্প এগিয়ে গেছেন হিলারির তুলনায়। যেসব রাজ্যে এর আগেই ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন সেখানে তার অবস্থান আরো সংহত হয়েছে। শুরু থেকেই বিতর্কিত হিসেবেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ডোনাল্ট ট্রাম্প। বলেছিলেন, মুসলিমদের তিনি মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়ে দিতে চান। মেক্সিকোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের সীমান্তে দেয়াল তুলে দিতে চান। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার কোনো পটভূমি ছিল না বলেই সবার জানা। তিনি যে রিপাবলিকান পার্টির উল্লেখযোগ্য কেউ সেটি কারো এর আগে জানা ছিল না। হাউজি ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি অনেকের কাছে পরিচিত ছিলেন। টিভির দুয়েকটি কম আলোচিত অনুষ্ঠানে তার অংশ নেয়ার রেকর্ড অবশ্য ছিল। কিন্তু এর কোনোটাই তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অগ্রসর হওয়ার মতো কোনো কিছু ছিল না। তার মুসলিম এবং অভিবাসীবিরোধী কিছু উগ্র বক্তব্য নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা দুটোই হয়েছে। তবে এসব বক্তব্যকে ম্যাককেইন রমনি বা বুশের মতো রিপাবলিকান নেতারাও দায়িত্বশীল মন্তব্য হিসেবে মূল্যায়ন করেননি। বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেয়ার। তবে এত কিছুর পরও তাকে রিপাবলিকান কনভেনশনে মনোনয়ন লাভে কোনো বাধার মুখেই পড়তে হয়নি। আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েও তিনি একপর্যায়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে এখন আবার দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্পকে বলা হচ্ছে আমেরিকান ব্রেক্সিটের প্রবক্তা। ব্রিটেনে দ্বিতীয় সারির কিছু নেতা ইউরোপের শৃঙ্খল থেকে ব্রিটেনকে স্বাধীন করার ডাক দিয়ে ডাকসাইটে সব নেতাকে পরাস্ত করে সেই ‘স্বাধীনতা’ অর্জন করেছেন। ট্রাম্প ডাক দিয়েছেন বাকি বিশ্বের পাহারা দিয়ে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ঋণে জর্জরিত হওয়ার শৃঙ্খল থেকে আমেরিকাকে মুক্ত করার। তার বক্তব্যের মূল সুর হলো দুটিÑ একটি হলো ফার্স্ট আমেরিকা, আরেকটি হলো, হোয়াইট সুপ্রিমেসি। আমেরিকান সাদাদের বড় একটি অংশের মধ্যে হোয়াইট সুপ্রিম্যাসি বা সাদাদের শ্রেষ্ঠত্বের জাত্যাভিমান গেঁথে আছে। কিন্তু কোনো নেতাই সেটাকে প্রকাশ করতেন না। ট্রাম্প অনেকের মনের সেই বলতে না পারা অভিব্যক্তিকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলছেন, আমেরিকা কেন ইউরোপ বা অন্যত্র মিত্রদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। নিরাপত্তার জন্য যদি তাদের সামরিক শক্তির প্রয়োজনই হয় তাহলে টাকার বিনিময়ে সে কাজটি করতে পারে আমেরিকা। এ বক্তব্যেই যেন এগিয়ে যাচ্ছেন ইহুদি কন্যার পিতা ট্রাম্প। অনেকেই বলেন, তার এ অগ্রযাত্রায় আশীর্বাদ রয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুরও। ট্রাম্পের বক্তব্যের অন্তর্নিহিত ভয়াবহতা দেশটির চিন্তাশীল নীতিনির্ধারকদের অজানা নয়। তার ডকট্রিন বা চিন্তাদর্শনের বাস্তবায়ন মানে হলো আমেরিকাকে বিশ্বের নেতৃত্বের আসন থেকে সরিয়ে নেয়া। এতে তার ক্লাসিক্যাল মিত্রদের চীন-রাশিয়ার উত্থানের মুখে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ার রয়েছে আশঙ্কা। কিন্তু সাধারণ আমেরিকানদের মাথায় ট্রাম্প তার ক্লাউনীয় ভাষায় এই বিষয়টি ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন যে, অন্যদের জন্য কেন আমেরিকানরা জীবন ও সুখ বিসর্জন দিয়ে ঋণের দায়ে জর্জরিত হবেন? মজার ব্যাপার হলোÑ একসময় অপরাজেয় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভাবা হিলারি ক্লিনটন যতই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছেন ততই ট্রাম্পের সমর্থন যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে। আমেরিকার পুরো জাতিই হলো অবিভাসী। যাদের ইতিহাস শত বছর দিয়ে হিসাব করা হয়, যেখানে অন্য অনেক জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরনো। এই স্বল্পপরিসরের ঐতিহ্য আমেরিকার সাদা সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে এমন এক সুপ্ত জাত্যাভিমান তৈরি করেছে, যেটি দুই মেয়াদের কৃষ্ণাঙ্গ শাসন এবং একজন নারীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আরো চাঙ্গা করেছে। আমেরিকান উগ্র জাতীয়তাবাদ আর বিশ্বের বোঝামুক্ত হওয়ার বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতি সমর্থন বেড়েই চলেছে। ডোনাল্ট ট্রাম্প আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হবেন কি না সেটি বলার সময় হয়তো এখনো আসেনি। তবে এটি বলা যাবে যে, ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন না এমন কথা বলার আর কোনো উপায় নেই। হিলারি ক্লিনটনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব থাকার পরও তার স্বাস্থ্যের সামান্য বিপত্তি তার সামর্থ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অথচ ৭০-এর বেশি বয়সে রিগ্যান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন দাপটের সাথে। এ কথা আজ অনেকেই বলছেন যে, উগ্রতার আগুন আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা স্থানে জ্বালিয়ে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটার কারণ সৃষ্টি করেছে সেই আগুনে দগ্ধ হওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। শত্রু ও মিত্র বিভিন্ন দেশের উদীয়মান রাজনৈতিক নেতাদের সম্প্রতি এক সম্মেলনে ডেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা বলেছিলেন, আমেরিকা তিনটি দেশকে ধ্বংস করেছে। আরো কয়েকটিকে ধ্বংস করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় রুখে দাঁড়াতে হবে এশিয়ান-আফ্রিকান নির্বিশেষে সবাইকে। আসলেই আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়াকে ধ্বংসপ্রায় করে ফেলার জন্য আমেরিকা দায়ী কি না অথবা সৌদি আরব পাকিস্তানসহ আরো কয়েকটি দেশ তাদের লক্ষ্যবস্তু কি না সেটি বিতর্কের ব্যাপার। কিন্তু বিশ্বের অনেক মানুষ এ পরিস্থিতির জন্য আমেরিকাকে দায়ী করছে। অনেকে এমনও বলছেন, এটি হলো ক্ষয়িষ্ণু ক্ষমতাধরের টিকে থাকার শেষ প্রচেষ্টা। নস্ট্রাডামস অথবা বাবা ভাঙার কথিত ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি যাদের কোনো আস্থাই নেই তারাও এখন মনের অজান্তে ভাবছেন ট্রাম্প কি আসলেই প্রেসিডেন্ট হয়ে যাচ্ছেন আর নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে দেশটিতে? নভেম্বরের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে এসব ওলটপালট ভাবনা যেন ততই বাড়ছে। আমেরিকান আকাশের উজ্জ্বল সূর্য যেন বিবর্ণ হয়ে সন্ধ্যাকে স্বাগত জানাচ্ছে। উৎসঃ dailynayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 06 Oct, 2016 সৌদি ৯/১১ আইন, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা 29 Sep, 2016 দক্ষিণ এশিয়ায় রণ হুঙ্কার 24 Sep, 2016 পাক-ভারত উত্তেজনা : সার্ক- কাশ্মির-বেলুচিস্তান 09 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 08 Sep, 2016 নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মৃত্যুচিন্তা! 01 Sep, 2016 হঠাৎ কেন বেলুচিস্তান? 25 Aug, 2016 হিলারি-ট্রাম্পের ইহুদি সংযোগ 13 Aug, 2016 এরদোগানের রাশিয়া সফরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভারসাম্য আসবে? 04 Aug, 2016 প্রচণ্ডের ক্ষমতায় ফেরা : হার-জিতের সমীকরণ 28 Jul, 2016 ট্রাম্প ডকট্রিনে বিশ্ব পরিণতি 24 Jul, 2016 রুশ-চীন-ইরান বলয়ের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক? 14 Jul, 2016 ভূরাজনৈতিক রণক্ষেত্রে পরিণত বাংলাদেশ! 01 Jul, 2016 অনিশ্চয়তার পথে বাহরাইন 17 Jun, 2016 কতটা বরফ গলছে রুশ-তুর্কি সম্পর্কে 10 Jun, 2016 রবিনহুডের বাজেট! 02 Jun, 2016 হিমঘরের খরচ কমবে বাজেটে! 19 May, 2016 অবিস্মরণীয় জয় মমতার 12 May, 2016 তুরস্কে রাজনৈতিক সঙ্কটের পরিণতি 06 May, 2016 অখণ্ডতার চ্যালেঞ্জ জয়ে নতুন পথে সৌদি আরব 21 Apr, 2016 মুসলিম বিশ্বের হানাহানিকে দীর্ঘ করতে নতুন তত্ত্ব 31 Mar, 2016 প্রতিবেশী দুই ভারতীয় রাজ্যে নির্বাচন 22 Mar, 2016 সিরিয়াকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ভাঙা-গড়ার খেলা 17 Mar, 2016 অর্থনীতিতে এ কেমন ওলটপালট 10 Mar, 2016 মালয়েশিয়ায় মাহাথির-নাজিব সম্মুখ সমর! 25 Feb, 2016 ওবামাই কি আমেরিকার শেষ প্রেসিডেন্ট? Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ইসলামি সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য একত্ববাদ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম শাহ আবদুল হান্নান [email protected] ইসলামি সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য একত্ববাদ 18 March 2016, Friday যেকোনো সাংস্কৃতিক আন্দোলন বা যেকোনো আন্দোলনের পেছনে একটি দর্শন থাকার প্রয়োজন আছে। কোনো বড় আন্দোলন, বড় বিপ্লব বা বড় পটপরিবর্তন হয় না, যদি তাতে কোনো তত্ত্ব না থাকে। আমি সে তত্ত্বের দিকে গিয়েই দু-একটি কথা সহজ করে বলার চেষ্টা করছি। আমি দেখছি, বিশ্বব্যাপী একটি নৈতিক সঙ্কট চলছে। একটি নৈতিক অবক্ষয় চলছে। এ নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বর্বরতা। সেটি আফগানিস্তানে হোক, ইরাকে হোক, সিরিয়ায় হোক, কাশ্মিরে হোক কিংবা অন্য কোনো দেশে হোক। হিংস্রতা, ধ্বংস, হত্যা, অত্যাচার, এমনকি সন্ত্রাস কোনোটিই মানবজাতির জন্য কল্যাণকর নয়। আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সন্ত্রাস মানবতার শত্রু। আমি জানি, এর ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে ইসলাম এবং মানবতাবাদের। আমি মনে করি, সব ভালো লোকের, এমনকি সংস্কৃতিসেবীর এবং সব সংস্কৃতিকর্মীর এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। ক্রুয়েলিটির বিরুদ্ধে, বার্বারিজমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে এবং সেই সাথে বিশ্বব্যাপী যে নৈতিক অবক্ষয় তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। এর পরে আমি বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী এ নৈতিক অবক্ষয়, ক্রুয়েলিটি, বার্বারিজম, টেররিজমের পেছনে রয়েছে মূলত দু’টি কারণ। অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে আমি বলব দু’টি কারণ বড়। একটি হচ্ছে সুশিক্ষা বা সত্যিকার শিক্ষার অভাব। দ্বিতীয়টি হচ্ছে অসুস্থ সংস্কৃতি। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাপী এই যে অবস্থা, এ অরাজকতা, বর্বরতা, অমানবিকতা, এই যে অত্যাচার, জুলুম এর পেছনে রয়েছে মূলত দু’টি জিনিস- প্রকৃত ভালো শিক্ষার অভাব এবং অসুস্থ সংস্কৃতি। আমি সংস্কৃতির দিকে যাবো। কিন্তু শিক্ষা সম্পর্কে একটি কথা না বললে আমার কথা পূর্ণ হবে না। সুশিক্ষা কাকে বলে? প্রকৃত শিক্ষা কী?ইসলামের দৃষ্টিতে বা মানবতার দৃষ্টিতে ভালো শিক্ষা বা সুশিক্ষা কী? কোন শিক্ষা মানুষকে উন্নত করবে? আমি মনে করি, আমাদের এমন এক শিক্ষা লাগবে যাতে সম্পূর্ণ প্রফেশনালিজমও থাকতে হবে। অর্থাৎ এক দিকে থাকবে প্রফেশনালিজম, অন্য দিকে একটি মোরাল শিক্ষা তার লাগবে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, এ নৈতিক শিক্ষা ইসলাম দিতে পারে। আমি যে সুশিক্ষার কথা বললাম তার আন্দোলন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং চলছে। যার একটি উদাহরণ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া। বাংলাদেশেও এ রকম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে নমুনা মাত্র। শিক্ষার এ আন্দোলনকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। সারা বিশ্বে। সংস্কৃতির দিকে আমি যখন তাকাই, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে সংস্কৃতি তার প্রজেকশনের যদি একটি ইনস্ট্রুমেন্ট হয়ে থাকে টিভি- তখন করুণ একটি চিত্র আমার সামনে ভেসে ওঠে। আমার মনে হয় খুব খারাপ অবস্থা। আমি যখন সিনেমা দেখি, আমি খুব কমই দেখি, কিন্তু যতটুকু দেখি তাতে মনে হয়েছে সিনেমা হলো অশ্লীলতা ও যৌনতার নগ্ন উপস্থাপনার মাধ্যমে বাণিজ্য করার একটি মাধ্যম। এটি তো হতে দেয়া যায় না। একই অবস্থা নাটকেও দেখা যায়। এমনকি উপন্যাসের ক্ষেত্রেও দেখছি সে একই অবস্থা। একজন কবি আমাকে বলল যে, রবীন্দ্রনাথের যে উপন্যাস সে রকম উপন্যাস আজকে লেখা হচ্ছে না। নজরুল ইসলামের যে উপন্যাস সে রকম আজকে হচ্ছে না। সে মানবতাবাদ তাতে নেই, মানুষের কথা তাতে নেই, সে সুন্দর সমাজের কথা তাতে নেই। শরৎচন্দ্রের মতো উপন্যাস লেখা হচ্ছে না। এটি আমাদের ব্যর্থতা, সংস্কৃতির টোটাল ব্যর্থতা, সাহিত্যের টোটাল ব্যর্থতা। সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন আজকে সে মানবতাবাদী নাটক, উপন্যাস কোথায়? সে দিকে আমাদের যেতে হবে। মূল কথা হলো, অপসংস্কৃতি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সুস্থ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। যদি তা করতে হয় তাহলে আমাদের একটি সাউন্ড, সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। যে চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামনে আসছে তার কয়েকটি রূপ আছে। একটি হচ্ছে তার পলিটিক্যাল রূপ। তার একটি ইকোনমিক চ্যালেঞ্জ আছে, একটি মিলিটারি চ্যালেঞ্জ আছে, একটি কালচারাল চ্যালেঞ্জও আছে। পাশ্চাত্য মূলত চাচ্ছে তাদের কালচার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে। আমি একজন ইসলামিস্ট ও একজন মানবতাবাদীর মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না। একজন ইসলামিস্টের একটি বড় কাজ হচ্ছে মানবতাকে এ অশ্লীলতা থেকে উদ্ধার করা। আমার মতে, আমাদের একটি সুস্থ সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য এ যে আন্দোলন, সে অন্দোলনকে সাহায্য করতে হবে। সুস্থ সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য কী? আমার মতে, সুস্থ সংস্কৃতির মূল উপাদান তিনটি। একটি হচ্ছে সুস্থ বিশ্বাস। মুসলমানদের ক্ষেত্রে, ইসলামের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে তৌহিদ। দুই, অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে। তিন, মানবতার বাণী তাতে থাকতে হবে, মানুষের কল্যাণের বাণী তাতে থাকতে হবে। মানুষকে সমৃদ্ধ করবে, মানুষের ক্ষুধা-দুঃখ দূর করবে, এমন একটি মেসেজ যে সংস্কৃতিতে থাকবে আমি সেটিকেই সুস্থ সংস্কৃতি মনে করব। লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Oct, 2016 চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে করণীয় 29 Sep, 2016 মুসলিম সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য 22 Sep, 2016 শিক্ষা, ধর্ম ও পাশ্চাত্য সভ্যতা 15 Sep, 2016 সঙ্ঘাতের মুখে ইসলামি সভ্যতা 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 19 Aug, 2016 ইসলামি অর্থনীতির লক্ষ্য 26 Jul, 2016 মিসরের সামরিক সরকার ও ব্রাদারহুড 12 Jul, 2016 শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ গঠন 29 Jun, 2016 উৎসব পালন : বিভিন্ন দিক 02 Jun, 2016 জাকাত ফেয়ার : এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব 21 May, 2016 কওমি মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কিছু প্রস্তাব 18 Apr, 2016 পুঁজিবাদের অমানবিকতা ও ইসলামি অর্থনীতি 07 Apr, 2016 দি মেসেজ অব দি কুরআন এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাফসির 28 Mar, 2016 সময়ের সদ্ব্যবহার জাতিকে এগিয়ে নেবে 29 Feb, 2016 ইসলামে আর্থিক সুবিধা পুত্রের চেয়ে কন্যার বেশি 18 Feb, 2016 মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি মৌলিক সমস্যা : সমাধানের উপায় 12 Feb, 2016 অশ্লীল সংস্কৃতি ও ভ্যালেন্টাইন ডে 10 Feb, 2016 গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব 30 Jan, 2016 ইসলাম মানবাধিকার ও পাশ্চাত্য আধুনিকতা 24 Jan, 2016 শহরাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন 29 Dec, 2015 বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া 15 Dec, 2015 দারিদ্র্য বিমোচন : ইসলামের কৌশল 02 Dec, 2015 ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা 04 Oct, 2015 মানবাধিকার প্রশ্নে ইসলাম Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 23 Nov, 2015 স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে। একেতো স্বাধীন দেশ, তার ওপর তখনকার বাংলার মানুষের মাথার তাজ জনাব শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু। ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে মোট ১৪টি দলের প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৮৯ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১৮ জন। মহিলা প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। ভোট প্রদানের হার ছিল ৫৫.৬১ শতাংশ। ফলাফল : আওয়ামী লীগের আসন ২৯২ যার মধ্যে সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। স্বতন্ত্র জয়ী ছিলেন পাঁচজন; যার মধ্যে দুইজন হলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের সে নির্বাচনের ব্যাপারে তৎকালীন ন্যাপের সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ ভট্টাচার্য ৯ মার্চ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন : কমপক্ষে ৭০টি আসনে ন্যাপ ও অন্যান্য বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। সেই আসনসমূহে শাসক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করত অস্ত্রের ঝনঝনানি-ভয়ভীতি-সন্ত্রাস প্রয়োগ-গুণ্ডাবাহিনী ব্যবহার-ভুয়া ভোট-পোলিং বুথ দখল-পোলিং এজেন্ট অপহরণ-বিদেশী সাহায্য সংস্থা- রেডক্রস-জাতিসঙ্ঘ সরকারি গাড়ির অপব্যবহার প্রভৃতি চরম অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে এবং বিরোধী দলের প্রার্থীদের জোরপূর্বক পরাজিত করেছে। জাতীয় সংসদ আসন ২৯৪ চট্টগ্রাম-১৪ এ সংবাদপত্র-বাংলাদেশ বেতার-বাংলাদেশ টলিভিশন-ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিদেশী পত্রপত্রিকা ন্যাপপ্রার্থী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা সত্ত্বেও তাকে পরাজিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বের অন্যতম প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদ লিখেছিলেন : ৩১৫ (সংরক্ষিত ১৫ মহিলা আসনসহ) সদস্যের পার্লামেন্ট-এ জনা পঁচিশেক অপজিশন মেম্বার থাকিলে সরকারি দলের কোনোই অসুবিধা হইতো না। আর এসব শুভ পরিণামের সমস্ত প্রশংসা পাইতেন শেখ মুজিব। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য এই যে, শেখ মুজিব এই উদারতার পথে না গিয়া উল্টা পথ ধরিলেন। অনেক প্রবীণ ও দক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ানকে পার্লামেন্টে ঢুকিতে না দিবার জন্য তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করিলেন। আমি দেখিয়া খুবই আতঙ্কিত ও চিন্তাযুক্ত হইলাম যে, নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী নেতৃত্ব অপজিশনের প্রতি যে মনোভাব অবলম্বন করিয়াছিলেনÑ সেটা সাময়িক অ-বিবেচনাপ্রসূত ভুল ছিল না। তারা যেন নীতি হিসেবেই এই পন্থা গ্রহণ করিয়াছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের মন্তব্য ছিল : ইতিহাসে শেখ সাহেবের স্টেটসম্যান হইবার একটা সুযোগ ছিল। তিনি সেইটা কাজে লাগাইবার পারলেন না। মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম বি. মাইলাম এর পর্যবেক্ষণ ছিলো ’৭৩-এর মার্চ মাসের নির্বাচন হলো “শেষ যাত্রার শুরু”। বিপুলভাবে নির্বাচনে জিতেছিলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতারা ভোট নিয়ে ছেলেখেলা করেছে এবং জালিয়াতি থেকে নিজেদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। ’৭৩-এর ৯ মার্চ জাসদ সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রব সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বিবৃতিতে বলেনÑ বিরোধীদলের প্রার্থীদের পরাজিত হতে বাধ্য করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জাসদ সভাপতি-মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) এম এ জলিল বলেনÑ তার দলকে পোলিং এজেন্ট দিতে দেয়া হয়নি। জাল ভোট দেয়া হয়েছেÑ সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ফলাফল ঘোষণায় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। ১৯৭৫ এর আগস্ট-নভেম্বর পর্যন্ত বহু ঘটনা-দুর্ঘটনার পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদার গণতান্ত্রিক মনোভাবের সুযোগে ‘বাকশাল’- পরিত্যাগ করে মরহুম শেখ মুজিবের অনুসারীদের বড় অংশ আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। জেনারেল ওসমানীকে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিপক্ষে প্রার্থী করে আওয়ামী জোট প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিলো। ফলাফল সকলেরই জানা। পরে অংশ নিলো ১৯৭৯ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ৩৯ আসন নিয়ে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসন অলঙ্কৃত করলেন আওয়ামী লীগ নেতা জনাব আসাদুজ্জামান। তিন বছরের মাথায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান শাহাদতবরণ করেন। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে বিএনপির প্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিপক্ষে আওয়ামী জোট প্রার্থী দিলো ড. কামাল হোসেনকে। বিজিত হলেন ড. কামাল হোসেন। দৃশ্যপটে এলেন বিশ্বনিন্দিত কূটনায়ক লে.জে. এরশাদ। এলো স্বৈরশাসন। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোটবদ্ধ এবং যুগপৎ আন্দোলন শুরু হলো। বহু প্রাণ ঝরে গেল রাজপথে। রাতের কালো পর্দার আবরণে সমঝোতা করে আচমকা ১৯৮৬ সালে সংসদ নির্বাচনে অজস্র মানুষের প্রত্যাশাকে পদদলিত করে অংশ নিলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। জনগণকে বোকা বানানোর এবং ধোঁকা খাওয়ানোর সেই নির্বাচন বৈধতা পেল না। সংসদ ভেঙে গেল দুই বছরের মাথায়। যদিও একটা একতরফা নির্বাচন করলেন এরশাদ সাহেব ১৯৮৮-এ। সেই সংসদ ভেঙে গেল জনতার তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধে। নতুন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রশ্নে যুগান্তকরী গণ প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হলো শুধু নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরপ্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য এবং অ-বিতর্কিত করতে। ১৯৯১-এ অনুষ্ঠিত সে নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ পরিচালনাকারী দলের ক্যাপ্টেনসি (ঈঅচঞঅওঘঈণ) পেলেন হলেন সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতার পূর্ণ মেয়াদ পার করল তৎকালীন সরকার। অশান্তির আগুনে সারা দেশ জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আন্দোলন করলেন। মেয়াদ শেষের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে শর্ত জুড়ে দিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। বারবার বললেন ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’ মেয়াদ শেষ হওয়ার ১১ মাস আগে জাতীয় সংসদ থেকে জাতীয় পার্টি-জামায়াত এবং আওয়ামী লীগ একযোগে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি বাস্তবায়নে সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করার সংসদীয় প্রক্রিয়াকে অসম্ভব করে দিলো। বিএনপি সে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না বলে তত্ত্বাবধায়ক বিধানকে সাংবিধানিক রূপ দিতে অপরাগ হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন। নবগঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই পাস হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বিল। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নতুন নির্বাচন হলো একই বছর জুন মাসে। অংশ নিলো আওয়ামী লীগ এবং বিজয়ী হয়ে সরকার ও গঠন করল। ক্যাপ্টেনসি (ঈঅচঞঅওঘঈণ) নিলেন শেখ হাসিনা। বিএনপি ১১৬ আসন পেল। বিরোধী দলের নেত্রী হলেন বিএনপি নেত্রী সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯৬-২০০১ সরকার এবং সংসদীয় মেয়াদের পর সঙ্গত কারণে আবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি উঠল। বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে আন্দোলনে নামল। অনেক জুলুম-অত্যাচার-কারা ভোগের যন্ত্রণা এলো বিএনপির ভাগ্যে, যার মধ্যে সবচেয়ে নির্মম হিংস্রতা হলো ঢাকার মালিবাগ মোড়ে। ২০০১-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. ইকবাল এমপির কমান্ডে মালীবাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো সশস্ত্র আক্রমণের মাধ্যমে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে প্রকাশ্য দিবালোকে মির্জা আব্বাস নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। মিছিলে তার পাশে ছিলাম আমি, খায়রুল কবির খোকনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পেছন দিক থেকে হঠাৎ অবিরাম গুলিবর্ষণে নিহত হলো যুবদল কর্মী জসিম ও একজন মহিলা নেত্রীসহ চারজন। আহত শতাধিক। যে আঘাতের স্পিøন্টার এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি আমি। মেরুদণ্ডের ৪ ও ৫ নম্বর হাড় দুই দিকে সরে গিয়েছিল। সাড়ে চার ঘণ্টা অপারেশনে কিছু স্পিøন্টার শরীর থেকে বের করা হলো এবং মেরুদণ্ডের হাড় যথাস্থানে প্রতিস্থাপিত হলো। বাকি ৪০টির বেশি ছোট ছোট গুলি মাথার পেছন থেকে কোমর হয়ে পা পর্যন্ত চিরস্থায়ী হয়ে রইল। আল্লাহর রহমতে চিরতরে পঙ্গু হওয়া থেকে বেঁচে গেছি। দুঃখ হলো শেষ পর্যন্তও তখনকার প্রধানমন্ত্রী বলেই চললেন, ‘যখন নির্বাচন দিলে আমরা জয়ী হতে পারবো তখনই দেবো।’ (প্রথম আলো ২৭ মে ১৯৯৯)। যদিও সরকারের মেয়াদ শেষে পুনরায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ২০০১ এর ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো। বিএনপি জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। আওয়ামী লীগ প্রধান সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী হলেন। সে নির্বাচনে বরিশাল-২ (বাবুগঞ্জ-উজিরপুর) আসন থেকে আমি নির্বাচিত হলাম ২য়বারের মতো। (মূলত ৩য়বার) প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন : আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) প্রার্থী গোলাম ফারুক অভি, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং অন্যরা। বিএনপি জোটের সরকার গঠনের পর পরই আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিলো সংসদে শপথ নেবে না। পরে নিলো। ২০০১-০৬ মেয়াদের শেষ দিকে এসে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিচারপতি কে.এম. হাসানকে বিতর্কিত আখ্যায়িত করে আবারও সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলো। গান-পাউডার দিয়ে বাসে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, লগি-বৈঠা দিয়ে ধীরেসুস্থে পিটিয়ে জীবন্ত মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নেচে নেচে উল্লাস প্রকাশের পশুত্ব দেখল দেশের মানুষ। শুরু হলো আবার আঁধারের অপ-রাজনীতির খেলা। বিএনপির দুধে-ঘিয়ে পরিপুষ্ট জেনারেল এরশাদÑ জেনারেল নাসিমের মতো একই পথে এগুলেন জেনারেল মইন-জেনারেল মাসুদ, ব্রিঃ জেনারেল আমিন গং। সহযাত্রী হলো ডঃ ফকরুদ্দীন এবং আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা বললেন ‘এ সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল’। নির্বাচন হলো নাÑ জরুরি অবস্থা জারি হলো। এরপর বেগম জিয়া এবং শেখ হাসিনার কারাবাস। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও ব্যবসায়ীরা আটক হলেন। ছাত্র-আন্দোলন হলো। দু’বছর পর ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ জোট ক্ষমতায় এলো। ২ যুগব্যাপী আওয়ামী লীগের ধ্বংস প্রচেষ্টাকারীরা মন্ত্রী হলেনÑ এমপি হলেন। বিএনপি জোট সংসদে এবং রাজপথে জোর দাবি তুলল ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’-এর অধীনে একই ধারাবাহিকতায় মেয়াদ শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। থোড়াই কেয়ার করে আওয়ামী লীগ এবং আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বাতিল করল সংসদে। ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা এবং সংসদে এমপিরা নিজ নিজ পদে বহাল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেসে-খেলে জিতলেন। ১৫৪ জন এর সৌভাগ্যবানদের নির্বাচন নামে কষ্টটা করতেই হলো না। কী আনন্দ ঘরে ঘরে। একই সময় প্রত্যেক এলাকায় দু’জন করে এমপি থাকল। প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকলেন। অন্তবর্তী একটি রূপরেখা বাস্তবায়ন করে সোনার পাথরবাটির মতো দেশ পরিচালিত হলো; বিএনপি জোট নির্বাচনে অংশ নিলো না। ক্ষমতায় পুনরায় কাঁঠালের আমসত্ত্ব তৈরি হলো। সে আমসত্ত্ব খাইয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের বিভিন্ন স্তরে নির্বাচন হলো। বিএনপি জোট অংশ নিয়ে বিশাল জয় পেল। দ্বিতীয় ধাপে ভীত হয়ে শাসক দল আবার ভোট ছিনতাই করল। হতাশ-বিতৃষ্ণ মানুষ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করতে শুরু করল। যেটার উল্টোপিঠে আরো জোরালো কারণ হচ্ছে সিটি করপোরেশন-উপজেলা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্তরে বিএনপি জামায়াত এবং জোটের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নামে পরিকল্পিত মামলা দায়ের এবং এর দোহাই দিয়ে একের পর এক বরখাস্ত করা। সিটি করপোরেশনগুলোয় মেয়রদের মধ্যে একমাত্র বাকি রয়েছে হারাধনের একটি ছেলে বরিশালের কামাল। আর সচেতন বাংলাদেশীদের মনেতো আছেই শাসকদলের প্রধান শেখ হাসিনার অমিয় বাণীÑ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। অচিরেই সব দলের অংশগ্রহণে পরবর্তী অংশীদারিত্বভিত্তিক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কোথায় দিগন্ত? আজ কোথাও কাউকে সহ্য করা হচ্ছে না। কথা বললেই নানামুখী হেনস্তা। বিদগ্ধ অরাজনৈতিক ব্যক্তি ড. ইউনূস, আব্দুল্লাহ আবু সায়িদ, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদসহ অনেক মানুষ অপমানিত পদে পদে। বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রকাশ্য ঘোষণা এবং আইনগত একতরফা প্রস্তুতি সম্পন্ন। এ দলের নেতাকর্মী প্রকারভেদে প্রায় ৫০ হাজার মামলায় পাঁচ লাখ আসামি। কারাগারে প্রায় ৩০ হাজার। সংখ্যা উভয় ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতিদিনই বাড়ছে। এ অবস্থায় ছা-পোষা নির্বাচন কমিশন দিয়ে শূন্য মাঠে গোল দেয়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রস্তুতি জোর কদমে এগিয়ে চলছে। জামায়াতকে অযোগ্য করে স্ব-নামে নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। হায় আওয়ামী লীগ! ১৯৭০-এর নির্বাচনের আওয়ামী লীগ হারিয়ে গেছে ১৯৭৩-এ। ১৯৭৮-৭৯-৮১ তে ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিল। আবার চোরাগলিতে হারিয়ে গেল ১৯৮৬তে, ফিরে এলো ১৯৯১-এ। নিজ ঠিকানায় থাকল ১৯৯৬, ২০০১-এ। ২০০৮-এ ঠিকানা মোটামুটি স্থায়ী হলো। আবার হোঁচট খেলো ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারিতে। উদগ্রীব হয়েছে এখন ১৯৭৫-এর বাকশাল এ ঠিকানা স্থায়ী করতে। তফাৎ শুধু পুরনো ঠিকানার রি-মডেলিং। মিত্র নতুন চেহারার পুরনো মানুষেরা। কিন্তু প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কি ভুলে গেছে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম মনের খোরাক হচ্ছে রাজনীতি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের ৩৩টি দেশের মধ্যে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান ১ নম্বরে। এখানে ৬৫ শতাংশ মানুষ উচ্চমাত্রায় রাজনীতি করে। আমাদের রাজনীতিকে শাসক দলের মারমুখো তৎপরতায় সঙ্ঘাতমুখর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এ উচ্চমাত্রার প্ররোচনা এবং পৃষ্ঠপোষণকারী শাসক দল দেশের পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না সেটা ভাবার সময় কিন্তু হাতে বেশি নেই। নিকট এবং দূর-অতীতে সে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের হয়েছে। এ জন্য সমঝোতা সহিষ্ণুতা বড় বেশি প্রয়োজন এখন। না হলে ১৯৭৩ তে জাতীয় নির্বাচনের পর মার্কিন কূটনীতিকের সেই পর্যবেক্ষণ : ৭৩-এর মার্চের নির্বাচন ছিল ‘শেষ যাত্রার শুরু’ বাস্তবায়ন হলে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের জীবিত অভিশাপ এবং আত্মার অভিসম্পাত আমাদের বহন করতে হবে না তো? মনে রাখা দরকার, সব বিজয়ই কিন্তু গৌরবের নয়। মীরজাফরের বাহিনী যুদ্ধে পরোক্ষভাবে জয়লাভ করেছিল, সিংহাসনও পেয়েছিল। লেন্দুপ দর্জি স্বাধীন সিকিমের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু পরিণতি সবারই জানা। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহানায়ক উইনস্টন চার্চিল কিন্তু যুদ্ধ-পরবর্তী ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। পেরেছিলেন গোটা বিশ্বের মানুষের মনজয় করতে। লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য উৎসঃ নয়া দিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 30 Jan, 2016 হাসিনা আকতার নিগার এ শীতে উত্তাপবিহীন রাজনীতির মাঠ। গেলো বছর বিএনপি তার নৃশংস রাজনীতির কূটচাল দিয়ে দেশে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, আর সেই রাজনীতির বিষাক্ত বিষে তারা নিজেরাই দংশিত হয়ে আজ নির্বাসনে প্রায়। আপাত:দৃষ্টে মনে হয়, সাধারণ মানুষও পরিত্যাগ করেছে তাদের। দাম্ভিকতার রাজনীতিতে অন্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে নিজেদের দোসর করে দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি এ দেশের শাসন ব্যবস্থাতে ছিল। আজ তাদের সেই দিনগুলো বাঙালী জাতির জন্য কলংকিত একটি অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী সরকার পর পর দুইবার নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূল পরিবেশেও জনগণ সরকারের সাথে সাথে একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বপ্ন দেখে বলেই, আজ বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সকল পজিটিভ ভাবনাকে সামনে নিয়ে বর্তমান সরকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সে প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে দেশের সংসদে তেমন কোন অবস্থান নেই বিরোধী দলের। অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে নাই কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। তার নানা ব্যাখ্যা-অপব্যাখ্যাও রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই দেশে একধরনের বিরোধী দলবিহীন সংসদের আভাস দেখা গিয়েছিল। আর সাম্প্রতিককালে তা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। প্রবাদ আছে, ‘রাজনীতি হলো রাজার চাল।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও ধ্যান ধারণা দিয়ে দেশের সামগ্রিক রাজনীতির পট পরিবর্তন করেছেন তার শাসন আমলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের বিপক্ষের শক্তিশালী দল বিএনপি একদিকে যেমন জাতীয়ভাবে একঘরে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধকরে এবং জামায়াতের দোসর হয়ে, অন্যদিকে মামলা সামলাতে গিয়েও তাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। বলতে গেলে বিএনপি এখন মাঠে-ঘরে নেতানেত্রী বিহীন একটি দল। লেখক বিগত পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের পরাজয়ের পরবর্তী কোন প্রতিক্রিয়া আজ অবধি জোরালো ভাবে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে তাদের কী ভূমিকা থাকবে তা খুবই অস্পষ্ট। একটি দলের সাংগঠনিক কাঠামো যেখানে নড়বড়ে সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনার সমালোচনা করার অবস্থান তাদের নেই এটা জনগণের কাছে পরিস্কার ধারণা। তা নাহলে বিএনপি এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বলতে পারল না তাদের ‘আসল বিএনপি এবং নকল বিএনপি’ – নামক এ নাটকীয় ঘটনা কেন হলো। অন্যদিকে সরকারে মন্ত্রীত্ব এবং নানা ধরনের পদ-পদবি ধারণ করে নামেমাত্র যে বিরোধী দল সংসদে রয়েছে, সেই জাতীয় পার্টি প্রকৃতপক্ষে জনগণের কাছে কোনো অর্থ বহন করে না। জাতীয় পার্টির কর্ণধার এইচ এম এরশাদ এবং তার স্ত্রী রওশন এরশাদ কখনোই দেশের জনগণের কথা বলেনি কিংবা ভাবেনি। শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির অংক কষতে গিয়ে দেশের দুটি বড় দল তাদের সুবিধামত গ্রহণ এবং বর্জন করেছে। যার ফল স্বরূপ বর্তমান সরকারের আমলেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। গত ক’দিন ধরে জাতীয় পার্টি নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যে নাটকের অবতারণা করেছে, তা রাজনীতির শীতল পরিবেশে অনেকটাই হাস্যরসের জোগান দিয়েছে দেশের মানুষকে। যদিও তাদের দল থেকে বলা হচ্ছে, দলের ভাঙ্গাগড়ার এই নাটক দিয়ে তারা বুঝে নিয়েছে এখনও তাদের খবর পত্রিকার পাতাকে চাঙ্গা করে। এটা কোন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য যথাযথা যুক্তি নয় যদিও। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির পর আলাদা করে আর কোনো দল দেশের রাজনীতিতে নেই বললেই চলে। কারণ সকলেই এ দুটি দলের সহযোগী হিসাবে ১৪ দল এবং ২০ দলের অংশ। এর মাঝে অবশ্য ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশ ২০ দল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনার কোন সুযোগ তেমন থাকছে না। কিন্তু বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতাসীন কোন রাজনৈতিক দলের বিপরীতে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দল না থাকাটা গণতন্ত্রকে অনেকাংশেই হুমকির মুখে ফেলে দেয়। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা গণতান্ত্রিক সরকারের চালিকা শক্তির একটি যন্ত্র। তবে সে জবাবদিহিতাকে সচল রাখতে বিপরীত দিকে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দল থাকা অতীব জরুরী। যা দেশের সরকার ব্যবস্থায় এখন নেই। সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সুযোগ তৈরি করতে হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে মতামত প্রকাশের সে পথ তৈরি করে দিতে হবে সরকারকেই। বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছে নানা সময়ে নানাভাবে। সে সংগ্রামের বিশাল অংশ জুড়ে ছিল আওয়ামী লীগ নিজে। আর সেই আওয়ামী সরকারই যখন রাজনীতির অত্যন্ত সুক্ষ্ম চালে দেশের একটি রাজনৈতিক দল ব্যতীত অন্য দলকে পঙ্গুত্বের দিকে নিয়ে যায়, তখন তা সেই দলটির জন্যও হিতকর নয়। তাহলে এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, জনগণ কি তবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সরকারি দল ছাড়া অন্যদের প্রতি? এ প্রশ্নের উত্তরটি কোনো দল ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবে না, যতক্ষণ না দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে না পারবে। আওয়ামী সরকারের অধীন স্থানীয় নির্বাচনগুলিকে নানাভাবে পর্যবেক্ষণ করার সাথে সাথে একটি বিষয় উঠে আসে, তাহলো বর্তমান সময়ে স্থানীয় জনগণ ধারণা করে পৌরসভা বা ইউপি সদস্যরা যদি সরকারি দলের না হয় তবে সেক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এমন ভাবনা থেকে বর্তমানে স্থানীয় ভোটে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। আর তা দিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে বিচার করাও সম্ভব নয়। দেশের পট পরিবর্তনে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ধারণ এবং লালন করে। আর সে কারণে প্রতিটি দলের অবস্থানকে তারা তাদের নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বিচার করে। সুতরাং বাংলাদেশ এবং বাঙালী জাতির ইতিহাসকে লুন্ঠিত করার সুযোগ বোধ করি আর নেই। তেমনিভাবে মৌলবাদের নামে ধর্মীয় বিভ্রান্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগও কম। গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন অভ্যন্তরীন সংস্কার দরকার, তেমনিভাবে সরকারকে উন্নয়নের জন্য একদলীয় মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে। যদিও সাদা চোখে মনে হয় বর্তমানে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল নেই – এই বিষয়টি সরকার তার কর্মকাণ্ড দিয়ে যেভাবে প্রকাশ করছে তা জনগণের চিন্তাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে ক্রমশ। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে চলবে? এ প্রশ্নটি অংকুরে বিনাশ করার দরকার দেশের এবং জনগণের উন্নয়নের স্বার্থেই।উইমেন চ্যাপ্টার প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 02 Jan, 2016 দুষ্টচক্রে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে, আবার ফিরে গিয়ে তপ্ত কড়াইয়ে। মুখোশ খুলে যায়, আবার নতুন মুখোশ আসে নতুন মুখোশে রুচি মরে গেলে আবার পুরনো মুখোশে নস্টালজিক ফিরে আসে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাজনীতি আজ এক চক্রে সমাবর্তিত হচ্ছে। গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকার সেই অধরাই রয়ে গেলো। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে এক দলীয় বাকশাল, তারপর নানা ঘটনার পরিক্রমায় বহুদলীয় গণতন্ত্র পূনপ্রবর্তন। আবার স্বৈরাচারের কালো থাবা, অবশেষে নব্বইয়ে এসে গণতন্ত্রের ভীত খানিকটা স্থিতি পাবার আগেই চলে আসে বিরাজনীতিকরণের এক নতুন খেলা। সকল দলের প্রচেষ্ঠায় সে প্রক্রিয়াকে ঠেকানো গেলেও এর পরে যে আরো ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে তা কি কেউ আগে জানতো বা কল্পনা করতে পারছিলো ! খেলারাম খেলেই যাচ্ছে ! আমাদের কয়জন বুঝছেন সন্দেহ, আর যারা বুঝতে পারছেন ওনারাতো এখন দেয়া-নেয়ার হিসেবে টিমের সদস্য হয়ে বসে আছেন। তবে এই ওয়ান ওয়ে রাস্তা থেকে ওনারাও বের হতে পারবেন বলে মনে হয় না। আর বাদ বাকিরা স্রোতের প্রতিকূলে জনগণের মধ্যে কতটুকু সচেতনতাই বা তৈরী করতে পারছেন? যার ফলশ্রুতিতে ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্বাচন, আর সরকার পক্ষ ও গৃহপালিত বিরোধী পক্ষ একাকার হয়ে চলছে দেশ শাসনের আজব এক অনুশাসন ! ৫ জানুয়ারির পর থেকে নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়। তবে ভোটারদের কষ্ট করে আজকাল আর ভোট কেন্দ্রে যেতে হয় না। সত্যিকারের বিরোধী পক্ষকে আগেই ঘরছাড়া করে রাখা হয়। এর পরেও কেউ নির্বাচিত হয়ে আসলে তাকে বরং জেলের গ্লানিতে পড়তে হয়। তাই আর নির্বাচন না করে শুধু গেজেট প্রকাশ করলেই চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে ! রাজনীতির পচন স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু কিন্তু সমাজের পচনটা বোধ হয় তারও কিছুদিন পরে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বগৌরবে টিকিয়ে রাখতে যে আশার জায়গাটা বাকি ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গত কয়েক বছরে তাদেরকেও রাজনৈতিক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বানানো হয়ে গেছে। আর ওনারা দেশ রক্ষা নয়, এখন ঠিকাদারি নিয়েই বেজায় খুশি। সেই সাথে সুশীলদের অনেকেই বনে গেছেন দলকানা এবং অন্যের বাজারের মদদ দাতা। প্রগতির দোহাই দিয়ে নিজের রাষ্ট্র, ধর্ম, স্বকীয়তাকে পেছনে ফেলে উদার হস্তে দিতে গিয়ে দাতা হাতেমতাই কেও হার মানিয়ে ফেলছি। ফলে আমজনতাও সমাজ থেকে তাদের মানবিক সংবেদনশীলতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে মনে রাখা দরকার, প্রকৃতিতে কোনো কিছুই শূন্য থাকে না। এর পরিণতিতে পতিত মরুভূমিতে গজায় কাঁটাওয়ালা ক্যাকটাস। যার খেসারত দিতে হয় পুরো জাতিকে। তাই অনেকেই অসহায়ের মত অল্প মন্দ-বেশি মন্দের হিসেব কষেন। রাজনীতির পথ পরিক্রমা হয়ে গেছে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ, অথবা জ্বলন্ত উনুন থেকে তপ্ত করাইয়ে ফিরে যাওয়ার মত। তাই তো অনেককে আজ আফসোস করতে শুনি, বর্তমান একনায়কতান্ত্রিক জবরদখলমূলক সরকার কর্তৃক গরিব দেশের মানুষের টাকা অপচয় করে নির্বাচনের নামে তামাশা করার চেয়ে নির্বাচনবিহীন বাকশালী সিস্টেম ছিল আরো ভালো! গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ৭১’এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে, কার ইশারায় চলছে রঙ্গ খেলা ? অনেকেরই মনে আজ প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি আশ্রিত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি ক্রমাগত! না কি দেশপ্রেমীরা বিজয়ী হবে? ইংরেজি নব বর্ষের শুরু হোক মানবিক মূল্যবোধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃপ্ত অঙ্গীকার। আর সকলের মানবিক সংবেদনশীলতাকে করুক জাগ্রত। লেখক: (সাবেক সহকারী অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট) উৎসঃ শীর্ষ নিউজ প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: একাকী শিশুর অনেক সমস্যা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার একাকী শিশুর অনেক সমস্যা 01 October 2016, Saturday একা থাকা শিশুরা বিষণ্নতায় ভোগে। ছবিটি প্রতীকী। ছবি: মুসলিমা জাহান‘বাসায় থাকলে সারা দিন টিভি দেখি আর কম্পিউটারে গেমস খেলি। কিন্তু এসব ভালো লাগে না। সব সময় ইচ্ছে করে মায়ের সঙ্গে থাকতে! একা একা খুব খারাপ লাগে।’ কথাগুলো বলছিল শামা। সে রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওর মা-বাবা দুজনই কর্মজীবী। মা পেশায় সাংবাদিক। কথা হলো শামার মা আফরোজা ইসলামের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শামা যখন ছোট ছিল, তখন বেশি সমস্যা হয়েছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনেই চাকরি করি। দুজনেই যখন বেরিয়ে যেতাম, তখন ও কার কাছে থাকবে, এই নিয়ে ভীষণ চিন্তা হতো। প্রথম প্রথম বুয়ার কাছে রেখে যেতাম। শামার তখন আড়াই বছর বয়স। একদিন ওর জন্য দুধ বানিয়ে ফ্রিজে রেখে এসেছিলাম। বুয়াকে বলেছিলাম তিন ঘণ্টা পর গরম করে খাওয়াতে। আট ঘণ্টা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে দেখি, ফ্রিজে দুধ ওই রকমই আছে। বুয়াকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, ‘‘কান্দে নাই, তাই খাইতে দিই নাই।’’ বুয়ার কাছে মেয়েকে রেখে যেতে আর ভরসা পেলাম না। আমার মায়ের বাসায় রেখে আসতাম। অফিস শেষে আবার সেখান থেকেই নিয়ে আসতাম! কী করব! আমার অফিসে তো কোনো শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র নেই। তাহলে হয়তো এত সমস্যায় পড়তে হতো না।’ সিমিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওর মা-বাবা দুজনই বাইরে কাজ করেন। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময়ই ওকে একা থাকতে হয়। একা থাকার ফলে তার কিছু মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিমিন বলে, ‘একা একা থাকতে ভালো লাগে না। বাইরে যাওয়াও বারণ । তখন আর কী করব! কল্পনায় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। মনের মধ্যেই বন্ধুদের ডাকি। ওদের সঙ্গে খেলি।’ সিমিনের মা জানান, ‘মেয়ে হয়তো অনেক দিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে। তবে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি মাত্র কিছুদিন আগে। দেখতাম, মেয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলে। আর একা থাকতে পছন্দ করে। আমরাও কিছু বললে খুব বিরক্ত হতো। তারপর ডাক্তার দেখালাম। এখন নিয়মিত ওর কাউন্সেলিং চলছে।’ শামা ও সিমিন একক পরিবারে বাস করে। আবার তাদের দুজনেরই মা-বাবা চাকরিজীবী। ফলে তারা মা-বাবার পরিচর্যা তেমন পাচ্ছে না। ফলে দুই শিশুরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে গড়ে উঠছে একক পরিবার। সংসারের প্রয়োজনে সেই পরিবারের মা-বাবা দুজনকেই চাকরি করতে হচ্ছে। নগরজীবনের এই বাস্তবতায় এসব পরিবারের শিশুরা দীর্ঘ সময় একা একা সময় কাটাচ্ছে। মুখোমুখি হচ্ছে নানা সমস্যার। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুদের দেখাশোনা করার মতো কাউকে পাওয়া যায় না বলে অনেক মাকেই চাকরি ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তেমনই একজন টুটুল আর মিতুলের মা ইয়াসমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাংকার হতে চেয়েছিলাম। স্বপ্নপূরণও হয়েছিল। একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতাম। তার কিছুদির পর ছেলে টুটুল হলো। প্রথম দিকে ওকে রেখে অফিসে যেতাম। সকাল ছয়টা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আটটায় অফিসে ছুটতাম। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যেত। আর এদিকে ছেলেকে দেখাশোনার কেউ ছিল না। কাজের লোকের ওপর ভরসা করতে পারছিলাম না। তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম, চাকরি ছেড়ে দেব। দিলামও। সে-ও ১০ বছর আগের কথা। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে নিয়োগ পেয়েছিলাম। সেই সহকর্মীদের বেতন এখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এখন ভাবি, চাকরিটা না ছাড়লে মাস শেষে এতগুলো টাকা আমার হাতে আসত। এসব টাকা সংসারের কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিজের অনেক শখও পূরণ করতে পারতাম।’ বর্তমানে অনেক নারী বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত আছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না। কর্মজীবী মায়েরা শিশুদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাছে রেখে যান। ফলে দীর্ঘ সময় শিশুটি গৃহকর্মীর সঙ্গে বাস করে। গৃহকর্মীর গুণগত মান কম হওয়ার ফলে শিশটিরও গুণগত মান কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিশুদের পরিচর্যার অনিয়ম, নির্যাতন ঘটছে এই গৃহকর্মীদের দ্বারাই। আবার অনেক সময় দেখা যায়, গৃহকর্মীর সহায়তায় শিশু চুরির ঘটনাও ঘটছে। আর এর ফলে যাঁরা বাসায় সন্তানকে একা বা পরিচারিকার কাছে রেখে যান, তিনি কর্মস্থলে গিয়েও কাজে মন দিতে পারেন না। আর এই একা একা বড় হওয়া শিশুরাও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে। একক পরিবারের শিশুরা, যৌথ পরিবারের শিশুদের চেয়ে ভিন্ন মানসিকতার হয় এমনটাই বললেন ভিকারুননিছা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, একক পরিবারের বাচ্চারা কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। বেশি মানুষ দেখলে ঘাবড়ে যায়। নিজের আনা টিফিন অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খেতে পছন্দ করে না। প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রায়ই দেখা যায়, শিশুরা খুব কাঁদে। কারণ, তারা একা একা বড় হয়ে অভ্যস্ত। একক পরিবারের এই শিশুরা শুরুতে স্কুলেও আসতে চায় না। কিন্তু কিছুদিন পরই ঠিক হয়ে যায়। এই শিশুদের খুব বেশি শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বও হয় না। তাদের এক বা দুজন বন্ধু থাকে। আর যৌথ পরিবারে বড় হওয়া শিশুরা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। তারা অনেক মানুষের সঙ্গে মেশে। অন্যের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিতে পছন্দ করে।’ কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ এই শিশুদের শৈশবকে সুন্দর করতে পারে, এমনটাই জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন। তিনি বলেন, ‘একক পরিবারের শিশুদের জন্য সমাধান হতে পারে কয়েকটি। যেমন, যৌথ পরিবার ভেঙে গেলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে হবে। যাতে শিশুটি প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহচর্য পায়। শিশুকে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে। শিশুকে সময় দেওয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ তাকেই দিতে হবে। অন্যদিকে যেসব একক পরিবারের মায়েরা কর্মজীবী, তাদের প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানে দিবাযত্নকেন্দ্র থাকলে, শিশুরা যেমন নিরাপদ থাকে, মায়েদের কাজের গুণগত মানও ভালো হয়।’ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০৬ সালে দিবাযত্নকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে বর্তমানে ৬৮টি শিশু সেবা পায়। ব্যাংকে কর্মরত মায়েরা খাবার বিরতির সময় সন্তানকে দেখে যেতে পারেন। আর বুকের দুধ খাওয়াতে হলে আরও বেশিবার দেখা করার সুযোগ পান। এখানে বাচ্চাদের পড়ালেখা, খেলাধুলা, খাওয়া ও ঘুমানোর ব্যবস্থা আছে। আর প্রতিষ্ঠানে শুধু নারী কর্মীই নন, পুরুষ কর্মীরাও তাঁদের সন্তানকে এখানে রাখতে পারেন। ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘এটা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমি যখন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি, তখন থেকেই এখানে একটি দিবাযত্নকেন্দ্র খোলার ব্যাপারে কাজ করছিলাম। পরবর্তী সময়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা প্রতিটি শিশুর খরচের মাত্র ৩৫ ভাগ অর্থ অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়ে থাকি। বাকি অর্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভর্তুকি দেয়। এই ব্যবস্থার ফলে প্রতিষ্ঠানের মায়েরা খুব স্বস্তিতে কাজ করেন। যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্যও লাভজনক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করতে পারে।’ প্রথমআলো পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে তামিম Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> খেলা সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে তামিম 01 Oct, 2016 বাংলাদেশের ব্যাটিং রেকর্ডের প্রায় সবই নিজের করে নিয়েছেন; এবার আরেকটি রেকর্ড শুধু একার করে নিলেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন শুধুই তামিমের। ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব আল হাসানকে।ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে রেকর্ডটি এতদিন ছিল দুজনের যৌথভাবে। আফগানিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ৭ শতকে তামিম আপাতত শীর্ষে উঠে গেলেন এককভাবে। টেস্টেও ৭টি সেঞ্চুরি নিয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশের শীর্ষে তামিম। টি-টেয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। এবার ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরির তালিকায় এককভাবে সবার ওপরে উঠলেন প্রথমবার। ২০১০ সালের অক্টোবরে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে সাকিব করেছিলেন তার পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তামিমের সেঞ্চুরি তখনও ৩টি। ২০১৪ সালের নভেম্বরে যখন সাকিব করেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, তামিমের সেঞ্চুরি তখন ৪টি। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তামিম ছুঁয়ে ফেলেন সাকিবকে; এবার গেলেন ছাড়িয়ে। বাঁহাতি ওপেনার সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। পারেননি নিজের ভুলেই। ৮০ রান আউট হয়েছিলেন ছক্কা মারতে গিয়ে। শেষ ম্যাচে আর কাছাকাছি গিয়ে ভুলের পথে পা বাড়াননি। একশ ছোঁয়ার ইনিংসটা অবশ্য শেষ হতে পারত এক রানেই। তৃতীয় ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তামিম। সহজতম সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে হাতছাড়া করেন আফগান অধিনায়ক আসগার স্তানিকজাই। এরপর কিছুক্ষণ খেলেছেন দেখে শুনে। অষ্টম ওভারে মিরওয়াইশ আশরাফকে এক ওভারেই মারেন তিন চার। জড়তাটুকুও যেন মিলিয়ে যায় তাতে। এরপর খেলেছেন নিজের মতোই। অর্ধশতক স্পর্শ করেছিলেন ৬৩ বলে। ১০টি চারে ১১০ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন তামিম। রহমত শাহকে চার মারার পর টানা দুই বলে মারেন বিশাল দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত আউটও হয়েছেন ছক্কা মারতে গিয়েই। মোহাম্মদ নবির বলে ধরা পড়েছেন লং অফ সীমানায়। নামের পাশে তখন ১১৮ বলে ১১৮। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ৭টি করে, টি-টোয়েন্টিতে একটি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে ১৫টি সেঞ্চুরি এখন তামিমের। ১০টি সেঞ্চুরিও নেই আর কারও। এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার ওয়ানডে রানের পথে। প্রতিটি পরিসংখ্যানই বারবার জানান দেয়, ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সেরা তামিমই! উৎসঃ bdnews24 প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 মামলা নিষ্পত্তির আগে ক্রিকেট খেলতে পারবেন না শাহাদাত! 11 Sep, 2015 সাময়িক নিষিদ্ধ হতে পারেন শাহাদাত! 08 Aug, 2015 সুন্দরবনে ফিরছেন টাইগার! 25 Jun, 2015 ভারতের মাটিতে এবার কি খেলতে পারবে বাংলাদেশ? 04 Nov, 2016 বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচের টসও হলো না বৃষ্টিতে 04 Nov, 2016 বিপিএলের শুরুতেই বৃষ্টির বাগড়া 02 Nov, 2016 মিরাজের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী 02 Nov, 2016 সুখবর দিলেন মুস্তাফিজ 31 Oct, 2016 শুধু বোলিং নয় ভবিষ্যতে ব্যাটিংয়েও প্রতিভা দেখাবো: মিরাজ 31 Oct, 2016 ইত্তেফাক মালিকের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা আদায়ের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর 31 Oct, 2016 অটো চালকের ছেলের হাতে ইংল্যান্ড হেরে গেল : ভারতীয় মিডিয়ায় মিরাজ 30 Oct, 2016 'ভাগ্য ভালো আমরা ২-০ তে টেস্ট সিরিজ হারিনি' 30 Oct, 2016 ম্যান অফ দি ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই 'মিরাজ' 30 Oct, 2016 মিরাজ-জাদুতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় 30 Oct, 2016 ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত শুরু 30 Oct, 2016 ইংল্যান্ডকে ২৭৩ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ 29 Oct, 2016 দ্বিতীয় ইনিংসেও ধস-রোগে বাংলাদেশ 29 Oct, 2016 আবার মিরাজ-তাইজুলের ভেলকি, শেষ হলো ইংল্যান্ডের ইনিংস 29 Oct, 2016 যেখানে মিরাজই একমাত্র 28 Oct, 2016 গ্যালারিতে কাঁদলেন মুশফিকের মা! 28 Oct, 2016 পুরনো চেহারায় বাংলাদেশ 28 Oct, 2016 প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ১১৭ রানের জুটি 28 Oct, 2016 টস জিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত 26 Oct, 2016 এবার প্রতিবন্ধী ভক্তের স্বপ্নপূরণ করে আবার নায়ক হলেন মাশরাফি 24 Oct, 2016 চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ভুলগুলো কী ছিল? 24 Oct, 2016 ৩ বলেই স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের! 22 Oct, 2016 স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের ২৭ রানে শেষ ৬ উইকেট 21 Oct, 2016 মিরাজ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২৯৩ রানে শেষ ইংল্যান্ড 20 Oct, 2016 চলছে সাকিব-মেহেদির ভেলকি, ইংলিশদের পঞ্চম উইকেটের পতন 15 Oct, 2016 একের পর এক সাব্বিরের আঘাতে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ড Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 16 Feb, 2016 ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কেমো থেরাপির মতো ব্যয়বহুল ও যন্ত্রণাময় চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ক্রমেই বাড়ছে প্রাকৃতিক খাদ্য ও উদ্ভিদের ভেষজ গুণের গ্রহণযোগ্যতা। এ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন গবেষকরাও। তেমনই কিছু ভেষজ গুণসমৃদ্ধ উদ্ভিদ রয়েছে ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন দেশ থেকে এই উদ্ভিদ সংগ্রহ করে তার গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করছেন এখানকার গবেষকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে ইতোমধ্যেই জানা গেছে শেকৃবিতে থাকা রুকোলা (Rucola) এমনই একটি উদ্ভিদ, যা ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষকরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে সবুজ রুকোলা গ্রহণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও রক্তনালী সংক্রান্ত রোগের বিরুদ্ধে আমাদের দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। রুকোলার গুণাগুণ এর সবুজ পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সহায়ক রাসায়নিক উপাদান, যেমন-সালফিউরাফ্যান, থায়োসায়ানেটস, আইসো-থায়োসায়ানেটস, ইনডলস ও আলফা-লিপোইক অ্যাসিড। এরা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন-প্রোস্টেট, ব্রেস্ট, সারভিক্যাল, কোলন ও ওভারিয়ান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। ‘হিস্টোন ডিঅ্যাসিটাইলেজ’ নামক এনজাইমের কার্যকারিতা ব্যাহত করার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এই সালফিউরাফ্যান। অস্ট্রেলিয়ান ‘রুরাল ইন্ডাস্ট্রিজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট কর্পোরেশন (আরআইআরডিসি)’ এর মতে, সবুজ রুকোলা পাতার ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা সরিষা পরিবারের অন্যান্য শাক-সবজি থেকে অনেক বেশি। রুকোলার সবুজ পাতা যেহেতু সরাসরি পিজা এবং সালাদে ব্যাবহৃত হয়, সেহেতু সবুজ পাতায় থাকা ক্লোরোফিল, হেটারোসাইক্লিক অ্যামাইনস (যা সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় তেলে ভাজলে বা ঝলসালে নিঃসৃত হয়) এর কার্সেনোজেনিক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডেটাবেস (স্ট্যান্ডার্ডরেফারেন্স)’ অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ রুকোলা পাতাতে শক্তি রয়েছে মাত্র ২৫ কিলো ক্যালরি; কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড (৯৭ মাইক্রোগ্রাম), ভিটামিন-এ (২৩৭৩ আইইউ), ভিটামিন-সি (১৫ মিলিগ্রাম), ভিটামিন-কে (১০৮.৬ মাইক্রোগ্রাম) এবং ভিটামিন-বি-কমপ্লেক্স। গ্রহণযোগ্য মাত্রায় রয়েছে ফ্লাভোনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক, ফুসফুস এবং মুখ-গহ্বরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। রুকোলা পাতাতে প্রচুর পরিমাণে কপার ও আয়রন জাতীয় খনিজ উপাদানও রয়েছে। রয়েছে স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। রুকোলাতে বিদ্যমান আলফা-লিপোইকঅ্যাসিড রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত রুকোলা পাতা গ্রহণ করলে হৃদপিণ্ড এবং রক্ত নালীর রোগের ঝুঁকি কমে। উৎপাদন ও ব্যবহার রুকোলা একটি শীত পছন্দকারী উদ্ভিদ। শীতকালে দ্রুত পাতার বৃদ্ধি ঘটে। কিন্তু বসন্তকালে গরম আবহাওয়ায় ঊর্ধ্বমুখী ফুলের স্টক তৈরি করে এবং বীজ ধারণ করে। এ উদ্ভিদটি প্রায় ২০-১০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বীজ বপনের একমাস পরেই পাতা সংগ্রহ করা যায়। রুকোলার পাতা রসালো, লম্বাটে ও খাঁজযুক্ত। শিকড় ছাড়া এ উদ্ভিদের সব অংশই, যেমন-পাতা, ফুল, অপরিপক্ক পড ও বীজখাবার উপযোগী। তবে পাতাই খাদ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। রুকোলার সবুজ সতেজ পাতা সরাসরি কাঁচা সালাদ হিসেবে টমেটো, জলপাই ও পনিরের সাথে, পিজা তৈরির পর পরিবেশনের সময় পিজা টপিং হিসেবে, পাস্তার সাথে এবং মাছ ও মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এ ছাড়াও এর বীজ থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদন করা যায়। কখনো কখনো এটা শাক হিসাবে পালং শাকের মতোই রান্না করা হয়। বংশপরিচয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন- ইতালিতে ‘রুকোলা’, আমেরিকাতে ‘আ রুগুলা’, জার্মানিতে ‘সালাট্রুকা’, স্পেনে ‘ইরুকা’ এবং ফ্রান্সে ‘রকেট’। রুকোলার উৎপত্তি স্থান হচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। ইতালিতে রুকোলা রোমান কাল থেকে চাষ করা হচ্ছে, তাই ধারণা করা হয় যে ইতালিই এর উৎপত্তি স্থান। এ অঞ্চল থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশে এটি বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে এটি বাণিজ্যিকভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (ইতালি, ফ্রান্স,পর্তুগাল ও চেকপ্রজাতন্ত্র), মিশর, তুরস্ক ও আমেরিকাতে (ইন্ডিয়ানা এবং মিডওয়েস্ট) চাষ হচ্ছে। রুকোলা হচ্ছে সরিষা পরিবারের (Brassicaceae) একাটি বর্ষজীবি, দুর্বলকাণ্ড ও সবুজ পাতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ, যার বৈজ্ঞানিক নাম Eruca sativa এই প্রজাতির দেহগত ক্রোমোসোম সংখ্যা ২n = ২২ এবং বীজই হচ্ছে বংশ বিস্তারের একমাত্র মাধ্যম। বাংলাদেশে রুকোলা চাষের সম্ভাবনা আমাদের দেশে এ পর্যন্ত কোথাও রুকোলা চাষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইতালি থেকে বীজ সংগ্রহ করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে এই উপকারী উদ্ভিদটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সারা বছর জন্মানোর উপযোগী। তবে পাতার বৃদ্ধি ও উৎপাদন শীতকালে সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু পাতার মতো সারা বছর বীজ উৎপাদন করা যায় না, শুধুমাত্র শীতের শেষে-বসন্তের শুরুতে এ উদ্ভিদটি ফুল ও বীজ উৎপাদন করে। বাংলাদেশে রুকোলা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু সারা বছর রুকোলার পাতা উৎপাদন সম্ভব, তাই গ্রামে বাড়ির আঙিনায় সামান্য একটু জায়গায় এবং শহরে ৪-৫টি টবে বাসার ছাদে কিংবা ঝুল-বারান্দায় জন্মিয়ে সারা বছর সতেজ পাতা পাওয়া সম্ভব। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উৎসঃ পরিবর্তন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য Clarinda, vrpSFSgm, 23 Jul,2016 08:24am Shiver me timbers, them's some great inotnmafior. সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:পুকুর থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার : রহস্যে ঘেরা ঘটনা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় পুকুর থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার : রহস্যে ঘেরা ঘটনা 01 Oct, 2016 নীলফামারীর ডিমলায় জিকরুল হক ভুট্টু (৪০) নামে এক নৈশ প্রহরীর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার খগাখড়িবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন নৈশ প্রহরী ও বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দূল মজিদের পুত্র। স্ত্রীর দাবি তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় চত্বরের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রী ফেন্সি বেগমের বর্ণনায় জানাযায়, অন্যান্য দিনে মতো শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সিরির নিচে একটি কাঠের চৌকিতে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঘুম থেকে জেগে দেখেন, তার স্বামী জিকরুল হক ভুট্টু বিছানায় নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকালে বিদ্যালয়ের পুকুরে তার স্বামীর লাশ দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান। তাদের চার মেয়ে ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় জানালে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন বলেন, সরকারিভাবে নৈশ প্রহরী নিয়োগ ব্যবস্থা না থাকায় ২০১৩ সালে জিকরুল হক ভুট্টুকে নৈশ প্রহরী ও তার স্ত্রী ফেন্সি বেগমকে আয়া হিসেবে খন্ডকালীন নিয়োগ প্রদান করা হয়। যদিও আয়া পদে স্মুতি বেগম নামে ইনডেক্সধারী আর একজন আয়া রয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় নান জনে নানা কথা বলেছে। কেউ বলছে, বিদ্যালয়টি কী বাসস্থান যে স্বামী-স্ত্রী এক বিছানায় রাত কাটাবে? আবার কেউ বলছে বিদ্যালয়ে ইনডেক্সধারী একজন আয়া থাকার পরেও ফেন্সি বেগমকে নিয়োগ দেয়া কি খুব জরুরি ছিলো ? আর ফেন্সি বেগমকে দিয়ে কেনইবা নৈশ্য প্রহরীর কাজ করানো হতো? তবে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আমির হোসেন এসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম সাওয়ারকে দেখিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম সাওয়ার বলেন, বিদ্যালয়ের পাশেই বাসা বলে তারা স্বামী-স্ত্রী এক সাথে থেকে ডিউটি করতেন। এলাকায় আরো প্রশ্ন ওঠেছে, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকুরী স্থায়ীকরণ নিয়ে। তাদের চাকুরী স্থায়ী করণের নামে কে বা কারা তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অপর দিকে এলাকার সচেতন মহলে দাবি ওঠেছে, সন্ধ্যার পরে ওই বিদ্যালয় চত্বরে মাদক সেবীদের আনাগোনা ছিলো কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। স্ত্রী ফেন্সি বেগমের দাবি, তার স্বামী জিকরুল হক ভুট্টুকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, যে পুকুর থেকে ভুট্টুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে পানির গভীরতা ৪ ফুট। ডিমলা থানার এসআই সফিয়ার রহমার বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। লাশের গলায় একটি আঘাতের দাগ রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎসঃ nayadiganta প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 05 Sep, 2015 শিশুজন্মে অস্ত্রোপচারের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ২৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যার সিংহভাগ অস্ত্রোপচারই শুধু চিকিৎসকদের অর্থ লালসার কারণেই করা হয়েছে। অথচ প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক দরিদ্র গর্ভবতী নারী এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিশু জন্মদানকালে জটিলতায় তাদের অনেকে মারাও যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য খাতে বিশাল বাজেট থাকলেও সরকারি হাসপাতালগুলোও এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কোনো ধরনের প্রশাসনিক জবাবদিহিতা না থাকায় এক শ্রেণির লোভী চিকিৎসক সচ্ছল পরিবারের গর্ভবতী মাকে মৃত্যুঝুঁকিসহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপ্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করে শিশু জন্মদানে বাধ্য করছেন। অথচ এতে উল্টো মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। আর নজরদারি না থাকায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশুজন্ম ও মাতৃসেবায় অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা চলছে। যা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা শিশুমৃত্যু এবং মাতৃমৃত্যু কমিয়ে আনাই এর অন্যতম টার্গেট। অথচ শিশুমৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইপ্সিত লক্ষ্যে পেঁৗছাতে পারলেও মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে পুরোপুরি লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যাবিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক কাওসার আফসানা জানান, মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী প্রতি এক লাখ জীবিত শিশুর জন্মের মধ্যে ১৯৪টি ক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যু হয়। এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০১৫ সালের মধ্যে তা ১৪৩-এ নামিয়ে আনা। অথচ পরিস্থিতি আগের চাইতে উন্নত হলেও এখনো প্রসূতির হাতের কাছে দক্ষ ধাত্রী বা অন্যান্য জরুরি সেবা পেঁৗছে দেয়া যায়নি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ঠিক সময় চাহিদা অনুযায়ী সব সেবা পাওয়া যায় না। যদিও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও চিকিৎসকরা এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, শুধু অর্থলিপ্সার কারণেই চিকিৎসকরা কখনো কারো অস্ত্রোপচার করেন না। বরং জন্মদানকালে জটিলতা ও প্রসবযন্ত্রণা এড়াতে অধিকাংশ সচ্ছল নারী স্বেচ্ছায় অস্ত্রোপচার করান। এছাড়া ক্যারিয়ারের পিছে ছুটতে গিয়ে সঠিক সময় মা হতে না পারা শিক্ষিত নারীদের একটি বড় অংশ বেশি বয়সে গর্ভধারণ করায় তাদের অনেকেরই প্রসবকালে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এদের অনেকেই ডায়াবেটিকসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকেন। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়। দরিদ্র নারীদের প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার না করার পেছনে তাদের অজ্ঞতাজনিত ভীতি ও অনাগ্রহকে দায়ী করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে তাদের এ দাবি যে অনেকটাই ভিত্তিহীন তা স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট একাধিক গবেষণা ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর অস্ত্রোপচার ও বিনা অস্ত্রোপচারের শিশুজন্মের হারের পার্থক্য পর্যালোচনাতেও চিকিৎসকদের অর্থ লালসার ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে বিডিএইচএস) এর ২০১৪ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ২৩ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে 'সিজারিয়ান' অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুরই জন্ম হচ্ছে এভাবে। এ ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ অস্ত্রোপচার হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ জরিপে দেশের সব জেলার ১৭ হাজার ৩০০ পরিবারের তথ্য এবং ১৭ হাজার ৮৬৩ জন নারীর সাক্ষাৎকারভিত্তিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে ৪ শতাংশ শিশুর জন্ম হতো অস্ত্রোপচারে। ২০০৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। তিন বছর পর ২০১১ সালে তা ছিল ১৭ শতাংশ। আর বর্তমানে ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জরিপের সঙ্গে জড়িত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক ড. আহমেদ-আল-সাবির বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রয়োজনের কথা বলছে, তার চেয়ে বেশি অস্ত্রোপচার হচ্ছে। অর্থাৎ দেশে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার হচ্ছে। এটা আরো বেশি স্পষ্ট হয় ধনী ও শিক্ষিত শ্রেণির সন্তান জন্মদানের ধারা বিশ্লেষণ করলে। জরিপে দেখা গেছে, সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত ও ধনিক শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। ধনিক শ্রেণির মধ্যে ৩৫ শতাংশ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অস্ত্রোপচার হচ্ছে। যার নেপথ্যে অর্থ লালসা মুখ্য বিষয়। যার অর্থ নেই সে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার করা তো দূরের কথা, দরকারের সময়ও সে সহযোগিতা পাচ্ছে না। এদিকে দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দাতা সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে অস্ত্রোপচারের হার বেশি। স্নাতকোত্তর মায়ের ৪৩ শতাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। নিরক্ষর মায়েদের ক্ষেত্রে এই হার সাড়ে ৫ শতাংশ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসবের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার দরকার হয়। মায়ের অপুষ্টি ও গর্ভকালে সমস্যার কারণে প্রসবে জটিলতা দেখা দেয়। মা ও নবজাতকের প্রাণ ও স্বাস্থ্যরক্ষায় অস্ত্রোপচার করতে হয়। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিকের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এত সময় নষ্ট করতে চান না অনেক চিকিৎসক। তাই সরকারি হাসপাতাল থেকে ডিউটি শেষে ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসে খ্যাতনামা অনেক চিকিৎসক একের পর এক অস্ত্রোপচার শুরু করেন। গভীর রাতে ডেলিভারি পেইন (প্রসব যন্ত্রণা) উঠলে সে সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যাবে না এমন ভয় দেখিয়েও ক্লিনিক মালিকরা অনেক সময় অহেতুক অস্ত্রোপচার করেন বলেও স্বীকার করেন প্রসূতি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। অথচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন, অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসবে মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকি কম। এছাড়া নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারিতে শিশু মা থেকে কিছু অণুজীবাণু পেয়ে থাকে, তা তার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম গঠনে সুফল এনে দেয়। নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেয়া শিশুর প্রাইমারি পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ অনেক কম। ফলে সন্তান অনেক কম ঝুঁকিতে থাকে। অন্যদিকে সিজারিয়ান শিশুর মাতৃদুগ্ধ পান শুরু বেশি সমস্যাঘন থাকে। সিজারিয়ান অপারেশনে মাকে যেসব অ্যানেসথেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তা নবজাতক শিশুতে প্রভাব ফেলতে পারে। সিজারিয়ান ডেলিভারির ফলে মাকে বাকি জীবনে মানতে হয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ। যা বলতে গেলে তার স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করে। সি-সেকশনে জন্ম নেয়া নবজাতক হাসপাতালে থাকার সময়কাল বেশি বলে বেশি ইনফেকশন ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া সিজারিয়ান শিশুর বস্নাড ইনফেকশন হার বেশি। জন্ডিস দেখা দেয়ার পাল্লাটাও খানিকটা ভারি। সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশু অণুজীবাণু পায় হাসপাতালের পরিবেশ থেকে, যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর জীবাণু। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খর্ব হয়। এদের ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা স্বাভাবিক জন্ম নেয়া শিশুর চেয়ে ৪৬ গুণ বেশি। ২০০১ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজির তথ্য অনুযায়ী, সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাজমার প্রবণতা বেশি থাকে। সি সেকশনে জন্ম নেয়া শিশু পরবর্তী সময়ে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তবে এত ঝুঁকির পরও কেন অস্বাভাবিকভাবে শিশুজন্মে অস্ত্রোপচারের হার বাড়ছে, চিকিৎসকরা এর সদুত্তর দিতে না পারলেও ভুক্তভোগীরা তাদের ভয়াবহ অর্থলিপ্সাকে এককভাবে দায়ী করেছেন। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী এ ব্যাপারে ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন। রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা মোনালিসা আকতার জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে তিনি মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। গর্ভজাত শিশু উল্টোভাবে গর্ভে অবস্থান করছে, তাই দেরি হলে সন্তানের পাশাপাশি তারও মৃত্যু হতে পারে বলেও চিকিৎসকরা ভয় দেখান। অপারেশনের জন্য তাকে তাৎক্ষণিক ১৫ হাজার টাকা হাসপাতালে ডিপোজিট করতে বলেন। কিন্তু দিনমজুর স্বামীর কাছে এত টাকা না থাকায় তাকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন রাতে মোনালিসা স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ শিশুসন্তান প্রসব করেন। একই ধরনের অভিযোগ করেন খিলগাঁওয়ের স্কুল শিক্ষিকা ফারজানা খাতুন। তিনি জানান, তার সন্তানসম্ভবা মেয়েকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করার পর অস্ত্রোপচার ছাড়া গর্ভজাত শিশুকে বাঁচানো যাবে না বলে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন। তবে তার মেয়ে অস্ত্রোপচারে রাজি না হওয়ায় পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। দুদিন পর সেখানে তার নরমাল ডেলিভারি হয়। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর জামিলা বেগম জানান, প্রসবজনিত জটিলতা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় কমিউনিটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়নি। এ ব্যাপারে নানা অনুনয় করেও কোনো ফল পাননি। বরং হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বরাবর তাদের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করানোর কথা বলেছেন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। অবশেষে জামিলা মৃত সন্তান প্রসব করেন। উৎসঃ যায়যায়দিন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 26 Jan, 2016 চট্টগ্রাম মহানগরে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বেসরকারি ৭৫টি হাসপাতাল। এখানকার ১২৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ভুলে বসে আছে বেমালুম। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়পত্র নিয়ে আর নবায়ন করেনি। কয়েকটি ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেনি। পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকে নেই কোনো মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। যেখানে-সেখানে তাদের ফেলা বর্জ্য পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের পাশাপাশি ১৪টি উপজেলার ১৩৪টি হাসপাতাল এবং জেলার ৩৪১টি ডায়াগস্টিক সেন্টারের কোনোটিই নেয়নি পরিবেশ ছাড়পত্র। এদিকে আইনকে কেউ কোনো তোয়াক্কা না করায় নগরীর সব ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর শুরু করা হবে অভিযান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশসম্মতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না হওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে সাধারণ মানুষ। পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশগুপ্তা সমকালকে বলেন, 'চট্টগ্রামের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালগুলোর মধ্যে ছাড়পত্র নেই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল, প্যানোরোমা হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উপশম হাসপাতাল, ফেয়ার হেলথ প্রাইভেট লিমিটেড, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, দি হেলথ প্রাইভেট লিমিটেড, শাহানা মেটারনিটি, মাউন্ট হাসপাতাল, একুশে হাসপাতাল, আল আমিন হাসপাতাল, সেবা হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতাল, রয়েল কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল, সিপিজেড হাসপাতাল, মা-মণি হাসপাতাল, সাউথ পয়েন্ট হাসপাতাল, হালিশহর জেনারেল হাসপাতাল, দি সিটি হেলথ, হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, হেলথ ইন প্রাইভেট লিমিটেড, নিরাময় ক্লিনিক, হিলভিউ ক্লিনিক, মেডিকেল সেন্টার, এভারগ্রিন হেলথ সেন্টার, হলি হেলথ হাসপাতাল, আরোগ্য নিকেতন হাসপাতাল, চিটাগাং মনোরোগ ক্লিনিক, চিটাগাং ইউরোলজি সেন্টার, মহানগর ক্লিনিক, সিএসসিআর হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, চিটাগাং পলি ক্লিনিক, পোর্ট সিটি মেটারনিটি, হলি কেয়ার নার্সিং অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিক, চিটাগাং শিশু হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, কার্ডিকেয়ার জার্ট অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, ফ্যামিলি কেয়ার হসপিটাল, সার্জিস্কোপ প্রাইভেট লিমিটেড, চিটাগাং হেলথ কেয়ার হসপিটাল লিমিটেড, রিয়েল সেবা কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টার, নিষ্কৃতি ক্লিনিক, ফাতেমা (রা.) মেমোরিয়াল মেটারনিটি অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, প্লাজমা মেটারনিটি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, পিপলস হাসপাতাল, মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, প্রিমিয়ার হাসপাতাল, লায়ন্স মোখলেসুর রহমান প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল, মমতা নগর মাতৃসদন হাসপাতাল, জালালাবাদ কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল, দেশ মেডিকেল সার্ভিস, ন্যাশনাল জেনারেল হাসপাতাল, পেসেন্ট কেয়ার হসপিটাল, লায়ন জেনারেল হাসপাতাল, চিটাগাং ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ছাপা মোতালেব সিটি করপোরেশন নগর মাতৃসদন হাসপাতাল, মমতা মাতৃসদন, ডেল্টা হেলথ কেয়ার, আইআইএমসি হাসপাতাল, মডার্ন কমিউনিটি চক্ষু হসপিটাল, ইম্পেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড, আল-নুর হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পতেঙ্গা জেনারেল হসপিটাল, চিটাগাং শিশু হসপিটাল, কেয়ারী মম গাইনি অ্যান্ড সার্জিক্যাল সেন্টার, রংধনু ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, পাঁচলাইশ শিশু হসপিটাল, ডক্টরস হসপিটাল, সার্জিস্কোপ হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড ইউনিট-২, পার্কভিউ হসপিটাল লিমিটেড, সিএসসিআর স্টোক ইউনিট, ভিশন চক্ষু কমিউনিটি হাসপাতাল। চট্টগ্রামে এবং জেলার ৩৪১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের থাকলেও তা করানো হয়নি নবায়ন। মহানগরে ছাড়পত্র না থাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো_ সেনসিভ, দি মেডিকেল ল্যাবরেটরি, বায়োপ্যাথ ল্যাবরেটরি, কেয়ার ল্যাব, ল্যাবএক্সপার্ট, মাউন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ওয়ান হেলথ সার্ভিসেস, এসকন ইন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাহার ডায়াগনস্টিক, ডায়াসিস, কুইক ডায়াগনসিস, সোবহানিয়া এক্স-রে ক্লিনিক, ডা. মাহফুজুর রহমান ল্যাব, চিটাগাং মেট্রোপলিটন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল্ট্রাআসে প্রাইভেট সেন্টার, উডল্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিটাগাং বেলভিউ, মিনি ল্যাব, সিএসসিআর, নিউ স্টার ল্যাব, বেসিক ল্যাব, কেয়ার ইনভেস্টিগেশন, ঈগল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল, মেডিকেল পয়েন্ট, লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক, লাইফ কেয়ার সেন্টার, চেকআপ ডায়াগনস্টিক, মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি রিপোর্ট ল্যাব, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডি এইড কমপ্লেক্স, প্রিমিয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিটাগাং ডক্টরস ল্যাব, মেডি এসকেন, মিরর ল্যাব, বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব, মেঘনা ল্যাবরেটরি, সার্জিস্কোপ প্যাথলজি, দি বেস্ট ল্যাব, হলি ডায়াগনস্টিক, হলি কেয়ার নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইম্পেরিয়াল ডায়াগনস্টিক, আলফা প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পালস ডায়াগনস্টিক, আইডিয়াল প্যাথলজি, লেক সিটি ডায়াগনস্টিক, বন্দর ল্যাব ডায়াগনস্টিক, উডল্যান্ড ডায়াগনস্টিক ইউনিট-২, সিভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক, কর্ণফুলী ডায়াগনস্টিক, ম্যাগনাম ডায়াগনস্টিক, সিটিল্যাব ডায়াগনস্টিক, শাহ জালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল আমিন ডায়াগনস্টিক, মিড সিটি ল্যাব, ইকো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইম মেডিকেল সার্ভিসেস, পপুলার মেডিকেল সেন্টার, সাবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কিডনি ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, সেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব, সাগরিকা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাব, ঢাকা সিটি ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক, মেসার্স সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্লাজমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাহেনা মেটারনিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সুপার প্যাথলজি, পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিটাগাং ল্যাব লিমিটেড, পপুলার প্যাথলজি ক্লিনিক, মেডিকেল সেন্টার, বাংলাদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিটি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেল পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বায়েজিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোয়েস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পারফেক্ট ডায়াগনস্টিক, বে সিটি মেডিকেল সার্ভিসেস, টেস্ট ইন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইমেজ সোসিয়াল ওয়েলফেয়ার অরগাইজেশন, রয়েল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ভ্যাকসিন সেন্টার, ল্যাব এড লিমিটেড, মডেল ল্যাব, মামস কেয়ার ডায়াগনস্টিক, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্যাথলজি, অ্যাডভান্স ডেন্টাল ক্লিনিক, চট্টলা মেরি ডেন্টাল ক্লিনিক, বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিগমা ল্যাব, গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দি ট্রিটমেন্ট, সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেফ ল্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেফল্যান্ড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, মোহরা ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিডপয়েন্ট হসপিটাল অ্যান্ড মেটারনিটি সেন্টার, হেলথ মার্ক লিমিটেড, দি ল্যাব ইকুইটি, নিউ চাঁদের আলো, আল সেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছাফা মোতালেক সিটি করপোরেশন প্যাথলজি, শাহ আমানত ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি, হাই-টেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মেডিকম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি চিটাগাং ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওয়েলকেয়ার ল্যাব, কে জে ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার, আইডিয়াল ল্যাব, ফেয়ার ল্যাব, আইআইএমসি হাসপাতাল ল্যাব, আলফা ল্যাব, ডেলটা হেলথ কেয়ার, মেডিকেল স্কয়ার, ইপিক হেলথ কেয়ার, কেনেডিয়ান মেডিকেল সেন্টার, এপেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হিউম্যান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অর্গান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিপিআরসি, ল্যানসেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাদার বুদ্রোস মেডিকেল সেন্টার ও চিটাগাং বেলভিউ লিমিটেড। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসাইন সমকালকে, 'আমাদের দেশে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়ম-কানুন নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো সিটি করপোরেশন এবং কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এসব বর্জ্য অপসারণ করে। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে তারা যেখানে-সেখানে ফেলে দেয়। ফলে এসব বর্জ্য থেকে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এসব বর্জ্য ব্যপস্থাপনার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করার দায়িত্ব রয়েছে তারাও উদাসীন এ বিষয়ে। তাই এ বিষয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের আরও কার্যকর ভূমিকা না রাখলে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এসব বর্জ্য।' চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. অধির রঞ্জন সমকালকে বলেন, 'প্রতিটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদনের জন্য সিভিল সার্জন হয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রতি আবেদন ঢাকার মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দিই। আমরা কোনো আবেদনের ত্রুটির কথা উল্লেখ করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানেজ করে আবেদন নিয়ে নেয়।' উৎসঃ samakal প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে ভালো লাগে: এরশাদ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> বিনোদন মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে ভালো লাগে: এরশাদ 17 Sep, 2015 মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে খুব ভালো লাগে বলে জানালেন রাজনৈতিক জীবন অস্থির হলেও সাজানো গোছানো দৈনন্দিন জীবন কাটানো হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জীবনকে নিয়ম-শৃংঙ্খলার মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন তিনি। পোশাক-আশাক বা গেটআপ সবকিছুতেই বাড়ি থেকে বাইরে সবসময় কেতাদুরস্ত ৮৫ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট। এরশাদ বললেন, সবসময় হালফ্যাশনে চলতে পছন্দ করেন তিনি। গ্ল্যামারাস লুক তার জন্মগত যাকে তিনি নিজেই আরো আকর্ষণীয় করেছেন তার স্মার্টনেসে। একইসঙ্গে আবার দীর্ঘতম সময় একটি র‍াজনৈতিক দলের প্রধান থাকার রেকর্ডও গড়েছেন এরশাদ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চব্বিশ ঘণ্টার রাজনীতিক থাকার পরও ব্যক্তিজীবনে কিভাবে এই তারকার মতো জীবনযাপন সম্ভব? পেছনের রহস্যটা কি? তার এখনকার ব্যক্তিগত জীবনইবা কিরকম? কি করে তিনি আকর্ষণের মধ্যমনি? ‘তৃতীয় মাত্রা’র ঈদ আয়োজনে চ্যানেল আই ভবনে এসে চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেসব কথা বলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত লাইফস্টাইল সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। চ্যানেল আই অনলাইন: কেমন আছেন? এরশাদ: হ্যাঁ ভালো আছি। চ্যানেল আই অনলাইন: প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাই, এই বয়সেও এতো সুন্দর কিভাবে আপনি? এরশাদ: (হাসি) রুটিন মাফিক জীবন-যাপন করি তাই হয়তো। চ্যানেল আই অনলাইন: সকালটা কিভাবে শুরু হয় আপন‍ার? এরশাদ: আমি প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। এরপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করার পর আমার জিম ট্রেইনার আসে। তার কাছে জিম করি। জিম করার পর গোসল করে নিই। এরপর গ্রিন টি খাই আর খবরের কাগজ পড়ি। সকালের নাস্তাটা বিভিন্ন ফ্রুটস দিয়ে করে থাকি। সঙ্গে থাকে পাউরুটি, ওমলেট আর দুধ। আসলে খাবার আমি খুব পরিমাণ মতো খাই। এরপর বাসায় একটা জায়গায় বসি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে তাদের সুপারিশ নিয়ে। আমার যতোটুকু সামর্থ্য আছে ততোটুকু দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করি। পার্টির কর্মিরাও আসে, বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলি। প্রতিদিন এতো লোক সমাগম হয় বলে আমার ছেলে এই বাড়ির নাম দিয়েছে সুপারিশ বাড়ি। এভাবেই প্রতিদিন সকালের পর্বটা শেষ করি। চ্যানেল আই অনলাইন: দুপুরের মেনুতে কোন ধরণের খাবার থাকে? এরশাদ: আমরা যেহেতু বাঙালি তাই বাঙালি খাবারের আইটেমই ভালো লাগে বেশি। রংপুরে একটি সুস্বাদু খাবার আছে আলুর ডাল। এই খাবারটা রংপুরবাসীর খুব পছন্দের খাবার। সেই খাবারটি বেশি থাকে। এছাড়াও বেগুন ভর্তা, বিভিন্ন মাছের আইটেম দিয়ে দুপুরের খাবার খাই। আমার মাছ খুব পছন্দের খাবার। যে কোনো মাছই আমার খুব ভালো লাগে। চ্যালেন আই অনলাইন: কোন খাবারটি এখন আপনি আর খান না? এরশাদ: বয়স হয়েছে তাই মাংস বা মাংস দিয়ে তৈরি খাবার খুব বেশি খাই না বললেই চলে। তাই বিয়ে বাড়িতে যেতে আমার ভালো লাগে না। তবে গেলেও কোনো খাবার খাই না। এতো পরিমাণ তেল মসলা থাকে যে খাবারকে বিষ মনে হয়। অবশ্য বিয়ে বাড়িতে গেলে অনেক ছবি তোলা হয়। এখন তো আবার সেলফির যুগ। চ্যানেল আই অনলাইন: আপনার সেলফি তুলতে ভালো লাগে না? এরশাদ: হ্যাঁ, সেলফি তুলতে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। যেখানেই আমি যাই না কেনো মেয়েরা আমার সঙ্গে সেলফি তুলে। আমারও বেশ ভালো লাগে। ব্যাপারটা উপভোগ করি। চ্যানেল আই অনলাইন: বিকেলটা কিভাবে কাটে? এরশাদ: বিকেলে সাধারণতঃ তেমন কোনো কাজ থাকে না। আমার ছেলে এরিক এরশাদ গান গায়। ওর চারটি অ্যালবাম বাজারে এসেছে। বিকেলে বসে ছেলের গান শুনি। আর আমার ছেলে তো মান্না দের অনেক ভক্ত। ওনার গানও শোনা হয়। এছাড়া পুরনো দিনের সব শিল্পীর গান শুনতে পছন্দ করি। চ্যানেল আই অনলাইন: অাপনার রাতের খাবারের মেন্যুতে কি থাকে? এরশাদ: রাতে একটি রুটি খাই। আর ছেলের সঙ্গে রাতে গল্প করতে হয় বলে প্রতিদিন রাত ১১টায় ঘুমাতে যাই। চ্যানেল আই অনলাইন: এখনো আপনি গলফ খেলেন? এরশাদ: সপ্তাহে দুইদিন গলফ খেলি। শুক্রবার ও শনিবার জিম ট্রেইনার আসে না, সেই দুইদিন আমার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গলফ খেলি। চ্যানেল আই অনলাইন: বাইরের কোন খাবারটি আপনার বেশি পছন্দের? এরশাদ: সাধারণত বাইরের দামি খাবার ছাড়া আমি কিছু খাই না। বিফ স্টেকটা আমার পছন্দের খাবার। চ্যানেল আই অনলাইন: পোশাকের তালিকায় আপনার বিশেষ পছন্দ কোনটি? এরশাদ: পোশাকের মধ্যে স্যুট পরতে বেশি ভালো লাগে। এছাড়া কোনো অনুষ্ঠানে গেলে পাঞ্জাবি পরতে ভালো লাগে। রঙের ক্ষেত্রে নীল রঙটাই পছন্দ। চ্যানেল আই অনলাইন: আপনার কোনো নিজস্ব পোশাক ডিজাইনার আছে? এরশাদ: একসময় ছিলো। এখন নেই। বয়স হয়ে গেছে তো। তাই পোশাক ডিজাইনার লাগে না। আর বেশিরভাগ সময় উপহার পাই। এর বাইরে নিজে কিছু পছন্দ করে কিনি, এই দিয়েই হয়ে যায়। চ্যানেল আই অনলাইন: আপনাকে সবসময় স্যুটের সঙ্গে স্কার্ফ পরতে দেখি। এরশাদ: কোনো রহস্য নেই। এটা আসলে সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন সময়ে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিলো। অভ্যাসটা ছাড়তে পারিনি। এখনো তাই স্যুটের সঙ্গে পরি। চ্যানেল আই অনলাইন: বাইরের কোন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন? এরশাদ: বাইরের দেশে ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে লন্ডন আমার পছন্দ না। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। ছেলেকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে প্রায়ই যেতে হয়। সাজানো গোছানো পরিস্কার সিঙ্গাপুরে ঘুরে বেশি মজা পাই। এছাড়া ভারতে ঘুরতেও বেশ ভালো লাগে। চ্যানেল আই অনলাইন: সর্বশেষ প্রশ্ন। বর্তমানে রাজনীতির অবস্থা কেমন দেখছেন? এরশাদ: রাজনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। আগে রাজনীতিকরা দেশ কন্ট্রোল করতো আর এখন ছাত্ররা দেশ কন্ট্রোল করে। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ছাত্রদের কাছে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। একজন ছেলে মোবাইল চুরি করেছে বলে তাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। দেশে যেনো কোনো আইন নেই। যে যেভাবে পারছে; সে সেভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে। তাই মনে করি মানুষের মধ্যে যতোদিন মূল্যবোধ সৃষ্টি না হবে ততোদিন দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। উৎসঃ চ্যানেল আই প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 04 Nov, 2016 অমিতাভকে ‘বিখ্যাত ‌বুড়ো’‌ বলেছিলেন হিলারি 04 Nov, 2016 ফারুকীর ইনটেনশন ভালো না: শাওন 23 Oct, 2016 ‘নিষ্পাপ শিশুর মনে পাপ ঢুকাচ্ছে ভারতীয় টিভি ‘সিরিয়াল’ 20 Oct, 2016 ভিডিও >> ইসলামই হল পৃথিবীর সেরা ধর্ম : ওম পুরী 17 Oct, 2016 শেষ হয়ে যাচ্ছে এফডিসি 05 Oct, 2016 ভিডিও >> ভারতে ২২ কোটি মুসলমান; ভুলে গেলে চলবে না: ওমপুরী 04 Oct, 2016 সেই শাবানা এই শাবানা 01 Oct, 2016 এবার পাকিস্তানে ভারতীয় সব রকম চলচ্চিত্র বন্ধ 21 Sep, 2016 ভারতে নিষিদ্ধ মমতাজ, গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল 18 Sep, 2016 হঠাৎ অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগীকে খুঁজে পাওয়ার খবর! 17 Sep, 2016 ফখরুল হাসান বৈরাগী না ফিরলে ' সব ফাঁস করে দেয়ার হুমকি’ 10 Sep, 2016 আমাদের মেয়েরা যৌথ প্রযোজনার নামে শরীর দেখাচ্ছে : নায়ক রাজ্জাক 29 Aug, 2016 সাবিনা ইয়াসমিনও বললেন, ‘অভ্যাস হয়ে গেছে’ 22 Aug, 2016 'কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পুড়ছে দেশ 19 Aug, 2016 ভিডিও >> বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মমতার কাছে যাবেন পাখি 07 Aug, 2016 মোশাররফের সঙ্গে দেখা যাবে কলকাতার 'পাখি'কে 01 Aug, 2016 ‘এখনকার প্রযোজকরা নতুন ছেলে-মেয়েদের মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন’ 20 Jul, 2016 ‘ভারতীয় ছবি প্রদর্শন হলে শিল্পীরা না খেয়ে মরবে’ 05 Jul, 2016 ইনুর পাশে পায়ের উপর পা তুলে কথা বললেন ভারতীয় নায়ক জিৎ ! 04 May, 2016 যেসব কারণে হারিয়ে যায় বন্ধুত্ব 04 Apr, 2016 ‘মুত্যু সংবাদ শুনে চোখে এক ফোটাও পানি আসেনি’ 20 Mar, 2016 চিত্রনায়িকা দিতি মারা গেছেন 12 Mar, 2016 মঞ্চেই মৃত্যু 23 Feb, 2016 শাহরুখের পর সালমানের উপর হামলা, হত্যার হুমকি 23 Dec, 2015 ক্লোজআপ ওয়ানের সেই নোলক এখন কোথায়? 15 Nov, 2015 সম্ভাবনা জাগিয়ে হারিয়ে গেছেন যেসব বলিউড তারকা 03 Nov, 2015 ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বাংলাদেশে কাজ করছেন ভারতীয় ২৫ চলচ্চিত্র কলাকুশলী 02 Nov, 2015 ২৫ বছর বয়সে যা করেছিলেন প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে সফল ১২ জন মানুষ 02 Nov, 2015 মন্দের ভিড়ে ভালোর সংখ্যাটা হারিয়ে যাচ্ছে : বিপাশা হায়াত 19 Oct, 2015 আপডেট >> শুটিং স্পটে হার্ট অ্যাটাক, হাসপাতালে রিয়াজ Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:পুলিশ হেফাজতে মাশরাফি সেই ‘ভক্ত’ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় পুলিশ হেফাজতে মাশরাফি সেই ‘ভক্ত’ 01 Oct, 2016 মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জড়িয়ে ধরা সেই ‘ভক্ত’কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার রাতে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় একদিনের ম্যাচ চলাকালীন ওই ভক্ত দৌড়ে সরাসরি মাঠে ঢুকে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর মাঠে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান। খেলা শেষে পুলিশ তাকে মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। মিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিৎ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছেলেটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে ওসির কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে আরও সিনিয়র অফিসাররাও আছেন।’তবে তার নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। টিভির পর্দায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বোলিংয়ের ২৯তম ওভারের সময়ের ঘটনা। আফগানিস্তানের তখন সাত উইকেট নাই। রান মাত্র ১০২। হঠাৎ কোনও একজনের মাঠে ঢুকে পড়া চোখে পড়ে মাশরাফির। তিনি নিজেও প্রথমে ভড়কে গিয়েছিলেন। ওই তরুণ যখন হাত বাড়িয়ে দেয়, মাশরাফিও হাত বাড়ালেন। এরপর মুহূর্তেই তাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। ততক্ষণে হাফ ডজন নিরাপত্তাকর্মী ও মাঠের স্টাফরা ঘিরে ফেলেন ওই তরুণ ভক্তকে। দুজনে মিলে মাশরাফির বুক থেকে ওই তরুণকে টেনে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুতেই ছাড়ছেন না। নিরাপত্তাকর্মীদের অ্যাকশন দেখে মাশরাফি হয়তো আঁচ করতে পারলেন ওই তরুণের অবস্থা পরবর্তী সময়ে কী হতে পারে। তাই তিনি একটু পরিবেশটা হালকা করার চেষ্টা করলেন। তরুণটিকে নিজেই মাঠের বাইরে দিয়ে আসতে শুরু করলেন। যখন নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছেড়ে দিলেন, তখনও সংশয় রয়ে গেল বাংলাদেশ অধিনায়কের মনে। সে কারণেই কিনা মাশরাফির অনুরোধে ওই ভক্তকে বসিয়ে রাখা হয় গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ওই তরুণকে কড়া নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। খেলা শেষে তাকে সোজা মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হঠাৎ মাঠে দৌড়ে প্রবেশের কারণ জানার চেষ্টা করছি।’ উৎসঃ banglatribune প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 17 Dec, 2015 আমার মা বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন যাবত বাতব্যথায় ভুগছেন । ২০১২ সাল থেকে তিনি ডা. শেখ আহমদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে আছেন । ডা. শেখ আহমদের চেম্বার চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর (CSCR) (সেন্টার ফর স্পেশালাইজড কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ) প্রাইভেট হসপিটালে হওয়ায় সেখানেই সকল প্রকার টেস্ট করে আসছি । প্রতিদিন শত শত মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এখানে বিভিন্ন প্রকার টেস্ট করিয়ে থাকেন । কিন্তু দুঃখজনক; এত টাকার বিনিময়ে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট যদি হয় ভুলে ভরা হয় তখন সেখানকার চিকিৎসা মান নিয়ে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক । CSCR_bg_Chittagongগত বছর সিএসসিআর (CSCR) –এর রিপোর্টে ভুল প্রমাণ হওয়ায় আমি বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি । বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করে এর প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম । এতে জনসচেতনতাও বৃদ্ধি পেত। কিন্তু ব্যক্তিগত নানান ঝামেলার কারণে এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য সময় করে নিতে পারিনি । সম্প্রতি আবারও ভুল রিপোর্ট প্রমাণিত হওয়ায় কলম না ধরে আর পারলাম না । প্রথমেই গত বছরের ভুল রিপোর্টের কথা বলি । ডা. শেখ আহমদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সিএসসিআর –এ আমার মায়ের এক্সরে, ইউরিন টেস্ট, ব্লাড টেস্টসহ বিভিন্ন প্রকার টেস্ট করালাম । ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ইং তারিখের রিপোর্টে Platelet count হল 80,000 (যেখানে নরমাল 1,50,000 to 4,00,000) । ডা. শেখ আহমদ সাহেব বিস্মিত হলেন । ব্লাডে এই সমস্যা ধরা পরায় তিনি পরামর্শ দিলেন হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম বড়ুয়াকে দেখানোর জন্য । আমি আমার মা’কে ডা. অনুপম বড়ুয়ার পপুলার হসপিটালের চেম্বারে নিয়ে যাই । ডা. অনুপম বড়ুয়া আমার মায়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পুনরায় CBC টেস্ট দিলেন । এবার টেস্ট করালাম পপুলার হসপিটালে । পপুলার হসপিটালের রিপোর্টে Platelet count: 2,31,000 । ডা. অনুপম বড়ুয়া জানালেন Platelet স্বাভাবিক আছে, চিন্তার কিছু নেই । কিন্তু আমি নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না । কিভাবে বুঝবো কোন রিপোর্টটি সঠিক আর কোনটি ভুল ? আমি ভেবে দেখলাম,যদি সিএসসিআর এর রিপোর্ট সঠিক হয় তাহলে Platelet সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তা নিরাময়ে কোনো ব্যবস্থা তো নেয়া হচ্ছে না । আর যদি পপুলারের রিপোর্ট সঠিক হয় তাহলে সিএসসিআর এ করানো বাকি রিপোর্টগুলোও কি ভুল ? এসব চিন্তা করে আমি আমার মাকে আবার নিয়ে গেলাম শেভরন হসপিটালে । শেভরন হসপিটালের রিপোর্টে Platelet count 2,30,000 । সুতরাং এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে সিএসসিআর –এর রিপোর্টই ভুল। এবার আসি সাম্প্রতিক বিষয়ে । গত মাসে (নভেম্বর ২০১৫ইং) আমার মা’কে ডা. শেখ আহমদের কাছে নিয়ে যাই । তিনি আবার কিছু টেস্ট দিলেন । যথারীতি সিএসসিআর হসপিটালে টেস্টগুলো করালাম । এবারও রিপোর্টে Platelet count 80,000 ! আমি ডাঃ শেখ আহমদকে জানালাম এই রিপোর্টের ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে তাই আমি পুনরায় টেস্ট করাতে চাই। এরপর আমি পুনরায় পপুলার হসপিটালে CBC টেস্ট করালাম । পপুলার হসপিটালের রিপোর্টে Platelet count 1,50,000 । উভয় রিপোর্ট দেখে ডা. শেখ আহমদ সিএসসিআর এর ল্যাবে ফোন দিয়ে তাদেরকে রিপোর্টের পার্থক্যের কথা জানালেন এবং Platelet count রিপোর্ট করতে কোনো ভুল হয়েছে কিনা জানাতে বললেন । ল্যাব থেকে জানানো হলো “Platelet count 80,000 এর চেয়েও কম ছিল, সুতরাং পপুলারের রিপোর্ট 150,000 টাই ভুল” । আমি তাঁদের বললাম, কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক তা আমি জানি না তবে এটা আমি নিশ্চিত যে এখানে যেকোনো একটা রিপোর্ট অবশ্যই ভুল আছে । এখন কার রিপোর্ট ভুল সেটা আমাদের বের করতে হবে । তাই আমি সব রিপোর্ট নিয়ে পত্রিকা অফিসে যাবো, পত্রিকায় এবং অনলাইনে নিউজ করাবো । একথা বলার পর ডা. শেখ আহমদ এবং সিএসসিআর এর ল্যাব কর্তৃপক্ষ আমাকে জানালেন তাঁরা আবার Platelet টেস্ট রিপিট করাবেন, এর জন্য কোনো ফি নিবেন না । অতঃপর Platelet টেস্ট রিপিট করলেন এবং রেজাল্ট এলো Platelet count 1,20,000 ! আমার ধারণা তাঁরা 1,50,000 কে 1,20,000 শো করেছেন, তবুও তো তাঁদের ভুল প্রমাণ হল । আমি প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁরা বললেন “মানুষের তো ভুল হতেই পারে, হয়তোবা টাইপিং এর সময় ভুল হয়েছে, এটা Human Error । মানুষ মাত্রই ভুল” । Report_01 মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে টেস্ট করিয়ে থাকেন । টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসক রোগ সম্পর্কে অবগত হন এবং রোগ নিরাময়ে অগ্রসর হন । আর সেই রিপোর্টই যদি হয় ত্রুটিপূর্ণ তাহলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে কি হতে পারে ভেবে দেখুন ! এক্ষেত্রে “Human Error”, “মানুষ মাত্রই ভুল” এসকল প্রবাদ কতটুকু গ্রহণযোগ্য ? উৎসঃ দ্যা রিপোর্ট প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 27 Jan, 2016 নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দেশের উৎপাদিত শাক-সবজি ও অন্য কৃষিজ পণ্যগুলোতে কৃষকরা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, বালাইনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার করছেন। গত বছরের শেষের দিকে সরকারের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় যে, শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজিতে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে। কৃষি অধিদফতরের তথ্যে, গত এক দশকে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ৩২৮ শতাংশ। আর গত এক যুগের বেশি সময়ে বালাইনাশকের ব্যবহার বেড়েছে পাঁচগুণ। গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চবিষযুক্ত ১২টি কীটনাশকের প্রভাবে গত ৫০ বছরে পুরুষ ও মহিলাদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা শতকরা ৪২ ভাগ কমে গিয়েছে। এর ফলে বিকলাঙ্গ শিশুও জন্ম নিচ্ছে। সব মিলিয়ে চরম হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে, খাদ্যে কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে মানবদেহে হৃপিণ্ড, যকৃৎ ও কিডনির বিভিন্ন সমস্যা, ক্যান্সার, হাঁপানি, অন্ত্রে ব্যথা, পেটের পীড়া, গর্ভপাত, বন্ধ্যত্ব এমনকি শিশুদের মৃত্যুঝুঁকিরও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সরকারের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ফুলকপি ও লালশাকে ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটনাশকের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে ৩৬ গুণ বেশি। গবেষণায় ফুলকপি ও লালশাক ছাড়াও শিম ও বেগুনসহ আট ধরনের সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরীক্ষায় ফুলকপিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ম্যালাথিয়নের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার স্বাভাবিক মাত্রা কেজিপ্রতি ২০ মাইক্রোগ্রাম। কিন্তু পরীক্ষিত নমুনায় ছিল ২৫১ মাইক্রোগ্রাম। একইভাবে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ৩২ গুণ বেশি ক্ষতিকর কীটনাশক ক্লোরোপাইরিসিস পাওয়া যায় ফুলকপিতে। এমনকি নিধারিত মাত্রার চেয়ে আটগুণ বেশি ক্ষতিকর প্যারাথিয়ন মিথাইলের উপস্থিতিতেও এই সবজিতে পাওয়া যায়। আর খুচরা বাজার থেকে সংগৃহীত লালশাকের নমুনায় ক্লোরোপাইরিফিসের মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ৩১ গুণ বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত টমোটো পাকানোর জন্য বা রঙিন ও সংরক্ষণের জন্য রাইপেন, ইথোপেন, টমটমসহ বিভিন্ন রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া ধান, গম, ভুট্টা, ডাল ইত্যাদি ফসলের মাঠে ও সংরক্ষণাগারে রোগ ও পোকা দমনের জন্য বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয়। ডাল, চাল ও আটায় রং মিশিয়ে চকচকে করে বাজারজাত হচ্ছে। আর মাষকলাই ভাঙানোর পর রং মিশিয়ে ডাল বানানো হচ্ছে। এ ছাড়া আরেকটি গবেষণায় চালে ক্ষতিকর লেড ধাতুর উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণত সবজিতে কীটনাশক স্প্রে করার ১৫ দিন পর তা খাওয়ার কথা থাকলেও ভোক্তা ফসল তোলার পরদিনই তা খাচ্ছেন। ফলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, দিনাজপুরে লিচুতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে কিছু সময় কীটনাশকের প্রভাবে মানুষের তাত্ক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে আবার মৃত্যু না হয়ে অনেকের দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে। তার মতে, সবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এলড্রিন ও এনড্রিনের মতো রাসায়নিক কীটনাশক খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৯২টি রাসয়নিক গ্রুপের দুই হাজারের অধিক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সুলতান আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কৃষকদের আমরা আইপিএম পদ্ধতিতে (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) কীটনাশকের ব্যবহার থেকে দূরে রাখার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এ ছাড়া দেশব্যাপী প্রায় দুইশ কৃষককে জেনিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াং পদ্ধতিতে উৎপাদিত বেগুন চারা সরবরাহ করেছি যাতে ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পোকামাকড়ের আক্রমণের আশঙ্কা নেই। আমি মনে করি কৃষকরা সচেতনতার অভাব থেকেই জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এ জন্য কৃষকদের জৈব প্রযুক্তিতে ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ফসলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শাকসবজি কাটার আগে ও পরে ভালো করে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করলে কীটনাশকের বিষ কিছুটা কমে। আর ফসলের গাছের রোগ দূর করতে হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া জৈব কীটনাশক স্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত। তারা এ জন্য ন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটিকে কার্যকর করার পরামর্শ দেন। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৩ বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৩ মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক সিস্টেমকে ক্রোধাচ্ছন্ন করে তুলছে বলে উল্লেখ করেছে বৃটেনের প্রভাবশালী ইকনোমিস্ট। গতকাল প্রকাশিত ‘জাস্টিস ইন বাংলাদেশ অ্যানাদার কাইন্ড অব ক্রাইম’ বা ‘বাংলাদেশের ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ’ শীর্ষক রিপোর্টে ইকনোমিস্ট বলেছে, ১৯৬১ সালে ইসরাইল আর্জেন্টিনা থেকে এডলফ ইচম্যানকে অপহরণ করে ২০ বছর আগে করা অপরাধের জন্য বিচারের সম্মুখীন করেছিল। ইচম্যান ছিলেন হলোকাস্টের প্রেক্ষাপট হিসেবে আয়োজিত নাৎসিদের ওয়ানসি কনফারেন্সের সচিব। জেরুজালেমে তার বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল যথাযথ ভাবে বিচার সম্পন্ন করার একটি মডেল। ওই বিচারের প্রসিকিউটর ছিলেন ইসরাইলের এটর্নি জেনারেল, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জার্মানির শীর্ষ এক এটর্নি। এ বিচার প্রক্রিয়াটি সমপ্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ইকনোমিস্ট বলছে এবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়াটির কথা ধরা যাক। সেখানেও বহু আগে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের জন্য মানুষের বিচার করা হচ্ছে। বিবাদীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং একদল মানুষকে একেবারে ধ্বংস করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইসরাইলের মামলায় যে মডেল সৃষ্টি করেছিল সেটা থেকে এ মামলার অবস্থান অনেক দূরে। সরকার আদালতের রায়ের হস্তক্ষেপ করেছে। এ বিচারের ব্যাপারে জনসম্মুখে আলোচনা নিষেধ করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষের সাক্ষীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এক সাক্ষীকে আদালতের সামনে থেকেই অপহরণ করা হয়েছে। একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য শোনেননি এমন তিন বিচারক মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। আরেকটি মামলায় বিবাদীকে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে। অথচ মামলার প্রস্তুতির জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময়ও দেয়া হয়নি। এ মামলার রায়ও দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। এখানে বিচার ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা রয়েছে। এতে কেবল ইচম্যান বিচারের মতো মানের ঘাটতিই নয়, বাংলাদেশের আইনের প্রেক্ষিতেও মানের ঘাটতি রয়েছে। এ বিচার, বিচার ব্যবস্থার মডেল হয়ে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বার বার আশ্বাস বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করে তুলছে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের এ বিচারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অভ্যুদয়ের সময় অপরাধীদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এ বিচার প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবষিত হয়েছে। কারণ এ বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান বিরোধী দলের সহযোগী একটি ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা রয়েছেন। দেশের অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতির সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া জড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতের সমর্থকরা হাতে তৈরি বোমা দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে অনেকে নিহতও হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন অসহিষ্ণুতার বেড়াজালের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। বিরোধী দলও আরও বেশি মাত্রায় ইসলামপন্থিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছে। গুজব শোনা যাচ্ছে, এ বছরের নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তবে দুঃখজনক হলো দেশের বেশির ভাগ জনতা এ বিচারের ত্রুটিপূর্ণ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছে। আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে একটি মামলার রায়ে যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণা করেছে তখন ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনতা প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ করেছে। এখন সরকার আইন সংশোধন করতে চাইছেন। জামায়াত বা এর সমর্থকদের প্রতি ইকনোমিস্টের কোন ধরনের সমবেদনা নেই। তবে তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। ইচম্যানের বিচারের যেমনটা দেখা গেছে ঠিক তেমনি গণহত্যার শিকার জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। অবশেষে বাংলাদেশও এ বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে এবং প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তবে ততদিনে বেশ দেরি হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যে কুয়ো থেকে একদিন পানি পান করবে, যুদ্ধাপরাধ বিচার সেই কুয়োর পানিকেই বিষাক্ত করে তুলছে। পাঠকের মতামত **পাঠকের মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পাঠকের মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নন। Juned Ahmed ২০১৩-০৩-২৩ Sorkar tar komotake pakapukto korar jonnoh ai BICHAR suru koreche. Abdur Rahim ২০১৩-০৩-২৩ ইকোনোমিষ্ট যথার্থ বলেছে কিন্তু চোরে না শুণে ধর্মের কাহীনি!! এই বিচারের মাধ্যমে শুধু ন্যায় বিচারকে কবর দেয়া হয়নি বরং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার উপর জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস উঠে গেছে। ন্যায় বিচার কি জিনিস এটা বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৬:৪১ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৩ মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক সিস্টেমকে ক্রোধাচ্ছন্ন করে তুলছে বলে উল্লেখ করেছে বৃটেনের প্রভাবশালী ইকনোমিস্ট। গতকাল প্রকাশিত ‘জাস্টিস ইন বাংলাদেশ অ্যানাদার কাইন্ড অব ক্রাইম’ বা ‘বাংলাদেশের ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ’ শীর্ষক রিপোর্টে ইকনোমিস্ট বলেছে, ১৯৬১ সালে ইসরাইল আর্জেন্টিনা থেকে এডলফ ইচম্যানকে অপহরণ করে ২০ বছর আগে করা অপরাধের জন্য বিচারের সম্মুখীন করেছিল। ইচম্যান ছিলেন হলোকাস্টের প্রেক্ষাপট হিসেবে আয়োজিত নাৎসিদের ওয়ানসি কনফারেন্সের সচিব। জেরুজালেমে তার বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল যথাযথ ভাবে বিচার সম্পন্ন করার একটি মডেল। ওই বিচারের প্রসিকিউটর ছিলেন ইসরাইলের এটর্নি জেনারেল, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জার্মানির শীর্ষ এক এটর্নি। এ বিচার প্রক্রিয়াটি সমপ্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ইকনোমিস্ট বলছে এবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়াটির কথা ধরা যাক। সেখানেও বহু আগে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের জন্য মানুষের বিচার করা হচ্ছে। বিবাদীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং একদল মানুষকে একেবারে ধ্বংস করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইসরাইলের মামলায় যে মডেল সৃষ্টি করেছিল সেটা থেকে এ মামলার অবস্থান অনেক দূরে। সরকার আদালতের রায়ের হস্তক্ষেপ করেছে। এ বিচারের ব্যাপারে জনসম্মুখে আলোচনা নিষেধ করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষের সাক্ষীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এক সাক্ষীকে আদালতের সামনে থেকেই অপহরণ করা হয়েছে। একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য শোনেননি এমন তিন বিচারক মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। আরেকটি মামলায় বিবাদীকে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে। অথচ মামলার প্রস্তুতির জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময়ও দেয়া হয়নি। এ মামলার রায়ও দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। এখানে বিচার ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা রয়েছে। এতে কেবল ইচম্যান বিচারের মতো মানের ঘাটতিই নয়, বাংলাদেশের আইনের প্রেক্ষিতেও মানের ঘাটতি রয়েছে। এ বিচার, বিচার ব্যবস্থার মডেল হয়ে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বার বার আশ্বাস বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করে তুলছে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের এ বিচারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অভ্যুদয়ের সময় অপরাধীদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এ বিচার প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবষিত হয়েছে। কারণ এ বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান বিরোধী দলের সহযোগী একটি ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা রয়েছেন। দেশের অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতির সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া জড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতের সমর্থকরা হাতে তৈরি বোমা দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে অনেকে নিহতও হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন অসহিষ্ণুতার বেড়াজালের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। বিরোধী দলও আরও বেশি মাত্রায় ইসলামপন্থিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছে। গুজব শোনা যাচ্ছে, এ বছরের নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তবে দুঃখজনক হলো দেশের বেশির ভাগ জনতা এ বিচারের ত্রুটিপূর্ণ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছে। আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে একটি মামলার রায়ে যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণা করেছে তখন ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনতা প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ করেছে। এখন সরকার আইন সংশোধন করতে চাইছেন। জামায়াত বা এর সমর্থকদের প্রতি ইকনোমিস্টের কোন ধরনের সমবেদনা নেই। তবে তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। ইচম্যানের বিচারের যেমনটা দেখা গেছে ঠিক তেমনি গণহত্যার শিকার জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। অবশেষে বাংলাদেশও এ বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে এবং প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তবে ততদিনে বেশ দেরি হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যে কুয়ো থেকে একদিন পানি পান করবে, যুদ্ধাপরাধ বিচার সেই কুয়োর পানিকেই বিষাক্ত করে তুলছে। পাঠকের মতামত **পাঠকের মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পাঠকের মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নন। Juned Ahmed ২০১৩-০৩-২৩ Sorkar tar komotake pakapukto korar jonnoh ai BICHAR suru koreche. Abdur Rahim ২০১৩-০৩-২৩ ইকোনোমিষ্ট যথার্থ বলেছে কিন্তু চোরে না শুণে ধর্মের কাহীনি!! এই বিচারের মাধ্যমে শুধু ন্যায় বিচারকে কবর দেয়া হয়নি বরং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার উপর জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস উঠে গেছে। ন্যায় বিচার কি জিনিস এটা বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৬:৪১ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৩ মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক সিস্টেমকে ক্রোধাচ্ছন্ন করে তুলছে বলে উল্লেখ করেছে বৃটেনের প্রভাবশালী ইকনোমিস্ট। গতকাল প্রকাশিত ‘জাস্টিস ইন বাংলাদেশ অ্যানাদার কাইন্ড অব ক্রাইম’ বা ‘বাংলাদেশের ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ’ শীর্ষক রিপোর্টে ইকনোমিস্ট বলেছে, ১৯৬১ সালে ইসরাইল আর্জেন্টিনা থেকে এডলফ ইচম্যানকে অপহরণ করে ২০ বছর আগে করা অপরাধের জন্য বিচারের সম্মুখীন করেছিল। ইচম্যান ছিলেন হলোকাস্টের প্রেক্ষাপট হিসেবে আয়োজিত নাৎসিদের ওয়ানসি কনফারেন্সের সচিব। জেরুজালেমে তার বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল যথাযথ ভাবে বিচার সম্পন্ন করার একটি মডেল। ওই বিচারের প্রসিকিউটর ছিলেন ইসরাইলের এটর্নি জেনারেল, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জার্মানির শীর্ষ এক এটর্নি। এ বিচার প্রক্রিয়াটি সমপ্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ইকনোমিস্ট বলছে এবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়াটির কথা ধরা যাক। সেখানেও বহু আগে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের জন্য মানুষের বিচার করা হচ্ছে। বিবাদীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং একদল মানুষকে একেবারে ধ্বংস করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইসরাইলের মামলায় যে মডেল সৃষ্টি করেছিল সেটা থেকে এ মামলার অবস্থান অনেক দূরে। সরকার আদালতের রায়ের হস্তক্ষেপ করেছে। এ বিচারের ব্যাপারে জনসম্মুখে আলোচনা নিষেধ করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষের সাক্ষীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এক সাক্ষীকে আদালতের সামনে থেকেই অপহরণ করা হয়েছে। একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য শোনেননি এমন তিন বিচারক মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। আরেকটি মামলায় বিবাদীকে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে। অথচ মামলার প্রস্তুতির জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময়ও দেয়া হয়নি। এ মামলার রায়ও দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। এখানে বিচার ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা রয়েছে। এতে কেবল ইচম্যান বিচারের মতো মানের ঘাটতিই নয়, বাংলাদেশের আইনের প্রেক্ষিতেও মানের ঘাটতি রয়েছে। এ বিচার, বিচার ব্যবস্থার মডেল হয়ে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বার বার আশ্বাস বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করে তুলছে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের এ বিচারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অভ্যুদয়ের সময় অপরাধীদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এ বিচার প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবষিত হয়েছে। কারণ এ বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান বিরোধী দলের সহযোগী একটি ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা রয়েছেন। দেশের অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতির সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া জড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতের সমর্থকরা হাতে তৈরি বোমা দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে অনেকে নিহতও হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন অসহিষ্ণুতার বেড়াজালের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। বিরোধী দলও আরও বেশি মাত্রায় ইসলামপন্থিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছে। গুজব শোনা যাচ্ছে, এ বছরের নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তবে দুঃখজনক হলো দেশের বেশির ভাগ জনতা এ বিচারের ত্রুটিপূর্ণ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছে। আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে একটি মামলার রায়ে যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণা করেছে তখন ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনতা প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ করেছে। এখন সরকার আইন সংশোধন করতে চাইছেন। জামায়াত বা এর সমর্থকদের প্রতি ইকনোমিস্টের কোন ধরনের সমবেদনা নেই। তবে তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। ইচম্যানের বিচারের যেমনটা দেখা গেছে ঠিক তেমনি গণহত্যার শিকার জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। অবশেষে বাংলাদেশও এ বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে এবং প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তবে ততদিনে বেশ দেরি হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যে কুয়ো থেকে একদিন পানি পান করবে, যুদ্ধাপরাধ বিচার সেই কুয়োর পানিকেই বিষাক্ত করে তুলছে। পাঠকের মতামত **পাঠকের মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পাঠকের মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নন। Juned Ahmed ২০১৩-০৩-২৩ Sorkar tar komotake pakapukto korar jonnoh ai BICHAR suru koreche. Abdur Rahim ২০১৩-০৩-২৩ ইকোনোমিষ্ট যথার্থ বলেছে কিন্তু চোরে না শুণে ধর্মের কাহীনি!! এই বিচারের মাধ্যমে শুধু ন্যায় বিচারকে কবর দেয়া হয়নি বরং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার উপর জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস উঠে গেছে। ন্যায় বিচার কি জিনিস এটা বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৬:৪০ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন পাঁচ লাখ লোকের সমাবেশ এবং... রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৩ স্টাফ রিপোর্টার: ঘোষণাই সার। বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক কোটি টাকার বাজেটে গুটিকয়েক মানুষের ‘মহাসমাবেশ’ হয়ে গেল রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে। তা-ও আবার জাতীয় শোক দিবসে। এই সমাবেশকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিরামহীন তৎপরতা। সংবাদ মাধ্যমের সরব উপস্থিতি। আশপাশের এলাকাজুড়ে লাগানো হয় ১০০ মাইক। দক্ষিণে টিকাটুলি মোড়, উত্তরে আরামবাগ আল হেলাল মোড়, পশ্চিমে দৈনিক বাংলার মোড়, পূর্বে কমলাপুর বাজার রোড পর্যন্ত তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বলয়। তুলে দেয়া হয় ফুটপাথের সব দোকানপাট। বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের যান চলাচল। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয় আর্চওয়ে। শাপলা চত্বরের মোড়ে তৈরি করা সুসজ্জিত মঞ্চ। পিচঢালা পথে বিছানো হয় কার্পেট। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলে প্রচার প্রচারণা। ঘোষণা দেয়া হয় পাঁচ লাখ লোকের মহাসমাবেশ করার। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল সমাবেশ। কিন্তু শুরু হয়েছে ২টায়। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ পাহারায় একটি সাদা মাইক্রোবাসে চড়ে সমাবেশস্থলে যান মহাসমাবেশের উদ্যোক্তা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত শোলাকিয়ার ইমাম। তখন মঞ্চ এবং এর আশপাশ মিলে আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ লোকের সমাগম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের উপস্থিতি খানিকটা বাড়ে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। তবু শেষ পর্যন্ত হাজারের কোটা অতিক্রম করেনি এমন অনুমান প্রত্যক্ষদর্শীদের। বিরোধীপক্ষের অপপ্রচার আর হুমকি-ধমকির কারণে লোকজন আসেনি বলে মন্তব্য করেন মাসউদের ঘনিষ্ঠ লোকজন। তারা বলেন, মহাসমাবেশ না বলে দোয়া মাহফিল অথবা প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকসভা বললে ভাল হতো। একই রকম মন্তব্য করলেন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত মতিঝিল থানার ওসি হায়াতুজ্জামান। তিনি বলেন, মহাসমাবেশ নয়-দোয়া মাহফিল করলেই উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য সফল হতো। সমাবেশ দেখতে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরীসহ অনেক পথচারী ও উৎসুক জনতা। তারা বলেন, গুটিকয়েক লোকের জন্য এভাবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অচল করে রাখার কোন মানে হয় না। বেলা তিনটার দিকে মহাসমাবেশ লেখা ব্যানারের ওপর কালো কাপড়ে লেখা দোয়া মাহফিলের ব্যানার লাগানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আকার ছোট হওয়ায় ওই ব্যানার মঞ্চের সামনে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সমাবেশের উপস্থিতি দেখে হতাশ হন উদ্যোক্তাদের অনেকেই। তারা বলেন, বিরোধী আলেমদের প্ররোচনায় অনেকেই আসেননি। তারপরও মাওলানা মাসউদ তার বক্তৃতায় লাখ লাখ লোকের উপস্থিতির দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন এবং মিডিয়া কর্মীরা হাসাহাসি করেন অনেকটা প্রকাশ্যেই। সমাবেশে মিডিয়া কর্মীদের মাঝে বিলি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ ক’জন খ্যাতনামা আলেমের নাম যোগ করা হয় বক্তার তালিকায়। অথচ তারা সমাবেশে উপস্থিতই ছিলেন না। শোকের দিনে মহাসমাবেশ: প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে তিন দিনের শোক কর্মসূচি। শোকে মুহ্যমান দেশ। এই শোকে একাকার পুরো জাতি, সব দল। শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই নয়, বিপরীত মেরুর প্রধান বিরোধী দলও দলীয় কর্মসূচি বাতিল করে শোক পালন করে। বিরোধী নেত্রী তার কর্মসূচি একদিন পিছিয়েছেন। দলটির ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিরোধী দল তিন দিনের শোক কর্মসূচি পালন করছে। জাতীয় শোক ঘোষণার পর তিন দিন ধরে রাজনৈতিক ময়দান শূন্য। সভা-সমাবেশ নেই। একটি ধর্মভিত্তিক দল আগে হুঙ্কার দিয়েও শোক দিবস হওয়ায় কর্মসূচি বাতিল করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় দিনভর রাস্তা বন্ধ রেখে এই সমাবেশ করা হলো। জামায়াত নিষিদ্ধ, কোরান ও মহানবীর সম্মান রক্ষায় আইন করার দাবি এবং সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্টকারীদের শাস্তির দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে এ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। বাদ জোহর সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বরের চার দিকের রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। সমাবেশ স্থলের নিরাপত্তা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়। প্রশ্ন দেখা দেয় জাতীয় শোক দিবসে এই কর্মসূচি পালন নিয়ে। একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা ছিল খেলাফত যুব আন্দোলনের। শোক দিবসের কারণে একদিন আগেই তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু আগের অবস্থানে অনড় থেকে কর্মসূচি পালন করলেন তিনি। সমাবেশের পুরোটা জুড়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন নেতারা। জামায়াত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। যুদ্ধাপরাধীেেদর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়েছে। আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ওলামা মাশায়েখ সংহতি পরিষদের মহাসমাবেশ হবে এটি। আয়োজনও ছিল ব্যাপক। সমাবেশ শুরুর কথা ছিল দুপুরে। চিত্র দেখা গেলো ভিন্ন। সমাবেশ শুরু হলো জোহরের নামাজের পর। অপেক্ষা করা হলো জনসমাগম বাড়ানোর। কিন্তু যখন সমাবেশ শুরু হয় তখন দেখা গেলো গুটিকয়েক মানুষের ‘মহাসমাবেশ’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের মূল গুরু (মওদুদী) আলেম ছিলেন না। ছিলেন সাংবাদিক। সে গুছিয়ে গুছিয়ে কথা লিখে পীর আওলিয়া আল্লাহ রাসুলের ওপর জুলুম করেছে। আল্লাহ-রাসুলকে অবমাননা করেছে মওদুদী। জামায়াত তার আদর্শ লালন করছে। জামায়াত-শিবির কোন রাজনৈতিক দল নয়, তারা সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী সংগঠন। আল্লাহ ও রাসুলকে অবমাননা করে তারাই আজ বড় নাস্তিক ও মুরতাদে পরিণত হয়েছে। তাই তাদেরকেও প্রতিহত করতে হবে। জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ্য করে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, আমরা আদবের সঙ্গে বলতে চাই, তওবা করে সঠিক পথে আসুন। আল্লাহ ক্ষমা করে দিলেও দিতে পারে। আর অন্যায়ের সঙ্গে থাকবেন না। তিনি বলেন, যারা ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করেছেন তারা শয়তানকে সাহায্য করেছেন। তারা বিধর্মীদের সহায়তা করছেন। ইসলামী ব্যাংক ইসলামের কথা বলে সুদ খায়, ঘুষ দেয়। ইসলামী ব্যাংকে যারা টাকা রাখেন তারা জাহান্নামে পুড়ে মরবেন। আমি তাদের বলবো ইসলামী ব্যাংক থেকে একাউন্ট তুলে নেন। মাওলানা মাসউদ অভিযোগ করেন, এই মহাসমাবেশ না করার জন্য নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছিল। প্রতিহত করারও হুঙ্কার দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। মহাসমাবেশে আসার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে অনেক কর্মী। হাসপাতালে তাদের অপারেশন চলছে। নানা রকম হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে এই সমাবেশ প্রমাণ করে, জামায়াতের দিন শেষের দিকে। তিনি বলেন, ইসলাম কোন ধর্মের অবমাননা সহ্য করে না। সরকার ব্লগের অবমাননার বিচার করতে কমিটি করেছে। আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে যাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে তারা এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন না। তারা কি করে বুঝবেন ব্লগে অবমাননা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে বিচার করতে হলে আলীয়া মাদরাসা, কওমী মাদরাসা ও পীর-মাশায়েখদের প্রতিনিধিদের সংযুক্ত করতে হবে। তবেই প্রকৃত বিচার সম্ভব হবে। মওলানা মাসউদ বলেন, সরকারের অন্যতম দু’টি ওয়াদা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোন রকম টালবাহনা বরদাশত করা হবে না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পুলিশি হয়রানির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মওদুদীরা দাড়ি রাখে না, পাগড়ি পরে না। তারা পাঞ্জাবির সঙ্গে প্যান্ট পরে। দাড়ি টুপি দেখলেই ধরবেন না, ধরলে আল্লাহর গজব পড়বে। পাঠকের মতামত **পাঠকের মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পাঠকের মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নন। রবিউল হোসেন ২০১৩-০৩-২৫ " যারা ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করেছেন তারা শয়তানকে সাহায্য করেছেন। তারা বিধর্মীদের সহায়তা করছেন। ইসলামী ব্যাংক ইসলামের কথা বলে সুদ খায়, ঘুষ দেয়। ইসলামী ব্যাংকে যারা টাকা রাখেন তারা জাহান্নামে পুড়ে মরবেন। আমি তাদের বলবো ইসলামী ব্যাংক থেকে একাউন্ট তুলে নেন।" _ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ আমার জানতে ইচ্ছে করছে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এর কোন ব্যাংকে একাউন্ট আছে? কোন ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে জান্নাতে যাওয়া যাবে? মায়মুনা ২০১৩-০৩-২৪ টাকা দিয়ে সমাবেশ করলে এমনি হবে। ইসলামী বিশ্বাসীরা তো আর টাকা খেয়ে মিছিলে আসবেনা। যারা ইসলামী লেবাস পরে ইসলামকে ও মুসলমানকে বিভক্ত করে তাদের বিচার হওয়া উচিত সবার আগে। দেশের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে এধরণের লোক দেখানো মিটিং করার করার কোন মানে হয় না। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৬:৩১ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন শাহবাগ আন্দোলন নষ্ট রাজনীতির শিকার শাহবাগ আন্দোলন নষ্ট রাজনীতির শিকার রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৩ নিজস্ব প্রতিনিধি: শাহবাগের জাগরণ জাতিকে এক ক্রান্তি-মুহূর্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। করেছে রক্তাক্ত ইতিহাসের মুখোমুখি। জনতার সরব বিক্ষোভে একাত্তরের অসমাপ্ত ঋণ শোধের দাবিতে গর্জন করে ওঠে দেশ। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় অন্য হিসাব-নিকাশ চলছে। বলা হচ্ছে, এ আন্দোলন এখন কোন পথে? এ আন্দোলনের যবনিকা কোথায়? এমন প্রশ্ন দিনে দিনে বেড়ে চলেছে আরও। বিরুদ্ধ স্রোতের যাত্রী এ আন্দোলন কি জড়িয়ে পড়েছে জটিল রাজনীতির কুটিল ঘূর্ণাবর্তে? নাকি এক নষ্ট সময় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠাবিরোধী এ উদ্যত জাগরণ আন্দোলনের? উত্থানপর্বেই ফুঁসে ওঠা স্রোতধারায় মিশেছিল বেনো জল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, গত ৯ই মার্চ একটি অনলাইন এজেন্সিতে বিষয়টি বিশদ করেছেন অল্প কথাতেই। তিনি লিখেছেন, “...৫ই ফেব্রুয়ারি বিকালে যে শ’ খানেক মানুষ (শাহবাগের জাতীয়) জাদুঘরের সামনে দাঁড়িয়েছিল তারা সরকারের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছিল। তারা মনে করেছিল, সরকার ও জামায়াতের মধ্যে সম্ভবত একটা আঁতাত হয়েছে, নইলে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগের ৫টি প্রমাণ হলেও ফাঁসি না হয়ে যাবজ্জীবন কেমন করে রায় হয়? অন্য সবার মতো সরকারও হতভম্ব হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাবেশের প্রকৃতি বুঝতে প্রথম দু-তিন দিন পার করে দিয়েছে। সরকারের সাজানো নাটক হলে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফকে প্রজন্ম চত্বরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এরপর সরকার বুঝতে পেরেছে এ আন্দোলনকে সমর্থন দেয়া দরকার, আখেরে তাদেরই লাভ। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি! মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ ইত্যাদির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ ইতিবাচক নম্বর পাবেই- ঐতিহাসিক বাস্তবতা তাকে এ সুবিধা দেয়। চার বছর ধরে বহুল অপশাসনের পরও শাহবাগ আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি-ব্যর্থতার ইস্যুগুলোকে আপাতত পর্দার আড়ালে লুকাতে সাহায্য করেছে। ফলে প্রকাশ্য না হলেও, অপ্রকাশ্য সমর্থন সরকার প্রথম দু’সপ্তাহ দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ২১শে ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশের পর থেকে ছাত্রলীগ সামনের সারিতে চলে আসে, এবং সরকারপক্ষের অংশগ্রহণ প্রকাশ্য হয়ে ওঠে।...” এর পর সেতুর নিচে বয়ে গেছে অনেক পানি। নিভৃত কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েছে অনেক কঙ্কাল। গত ১৭ই মার্চ ‘পথ হারাচ্ছে আন্দোলন, জাগরণ মঞ্চ শক্তি হারিয়েছে বিভক্তি ও দলীয়করণে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে একটি সহযোগী দৈনিক জানিয়েছে, “...আন্দোলন যারা শুরু করেছিলেন তারা জানিয়েছেন, ডা. ইমরান এইচ সরকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা; বর্তমানে তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেরও নেতা। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের ‘সরাসরি কর্মী’। দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য প্রথমে যৌথ নেতৃত্বে আন্দোলন পরিচালনা করার কথা থাকলেও সরকারদলীয় প্রভাবে তা করা যায়নি। আন্দোলনের কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, সরকার জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ তো করেইনি, বরং তারা আদালতের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে সুবিধা আদায় করতে চাইছে।” ওই প্রতিবেদনে ২১শে ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশের চিত্র তুলে ধরা হয় এভাবে, “...ওই সমাবেশেই মূলত মঞ্চের দলীয়করণ স্পষ্ট হয়। এদিন জাগরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার যখন কর্মসূচি পড়ছিলেন, তখন তার বাঁ পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, তার পাশে ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ। ডা. ইমরানের ডান পাশে ছিলেন চলচ্চিত্রকার ও আওয়ামীপন্থি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। এদিন বামপন্থি ছাত্রনেতাদের মঞ্চের পেছনে রাখা হয়েছিল, দেখা যায়নি আন্দোলনের শুরুতে যারা ছিলেন তাদের কাউকে। ওইদিন ডা. ইমরান তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পাঠ করছিলেন, তখন পাশ থেকে বেশ জোরে জোরে নাজমুল নির্দেশ দিচ্ছিলেন তাকে। এমনকি ‘একটু আবেগ দিয়ে কর্মসূচি পড়ার জন্য ডা. ইমরান এইচ সরকারকে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল। ...রায়েরবাজার বধ্যভূমি, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, বাহাদুর শাহ পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চট্টগ্রাম, আশুলিয়ায় যেখানেই জাগরণ মঞ্চ সমাবেশ করেছে, সেখানেই আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রকট উপস্থিতি দেখা গেছে।” প্রতিবেদনটিতে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনও একইভাবে দলীয়করণের শিকার হওয়ায় অসমাপ্ত রয়ে যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দলীয়করণের বৃত্ত থেকে গণজাগরণ মঞ্চ বেরোতে না পারলে তৈরি হবে আরও বড় কোনও হতাশার ইতিহাস। উল্লেখ করা যায়, সে বারের আন্দোলনের নিট ফল হয়েছিল জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নাগরিকত্ব লাভ। এবার কি হবে তা নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ এরই মধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে ব্লগ, অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে। একজন সুপরিচিত অ্যাকটিভিস্ট ১৯শে মার্চ লিখেছেন, “শাহবাগ এখন বিপ্লব-সম্ভাবনার বিরানভূমি। প্রথমত, এ দেশের অনূর্ধ্ব-৪০ এখানে এসে আত্মঘাতী হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অনূর্ধ্ব-২০কে এখানে এনে কিল্‌ করা হয়েছে।...” এসবই কি নষ্ট রাজনীতির খেলা? জাগরণ মঞ্চ কি এ খেলার শিকার? সামনে নির্বাচন। বিএনপি হয়তো যাবে না, কিন্তু তাই বলে বাদ যাবে না খেলা। এ খেলা হলো, নির্বাচনের আগেই এক পক্ষকে সাইজ করে ফেলা। ওই সাইজ করা না গেলে বাদ দিতে হয় নির্বাচনে জয়ের আশা। সে খেলা একটু আগেভাগেই শুরু হয়েছে এবার। আর সে খেলার টানাহেঁচড়াতেই কি আটকে গেছে জাগরণ মঞ্চ? নির্বাচন প্রতিবেশী ভারতেও। সেখানেও নির্বাচনের আগে নানা খেলা চলে, আর সে খেলা শুরু হয়েও গেছে। এর মধ্যেই সে খেলা শুরু করে দিয়েছে এবারকার নির্বাচনী দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের খেলা সংখ্যালঘু ও বাংলাদেশ নিয়ে। বাংলাভাষী মুসলমানদের বাংলাদেশী বলে অমানবিক পুশব্যাকের পাঁয়তারা শুরু করেছে তারা, সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার ইস্যুতে বাংলাদেশমুখী লংমার্চের কর্মসূচিও নিয়েছে হাতে। তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময়ের বিরুদ্ধে তো জোরেশোরে মাঠেই নেমে পড়েছে। এছাড়া ভারত হয়তো ভুলে গেছে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছে তারাই। সময় তাই নষ্ট। আর এ নষ্ট সময়ের নষ্ট রাজনীতির অনেক কিছু যুক্ত হয়ে চলেছে জাগরণ আন্দোলনের সঙ্গে। ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’ থেকে ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করো’ পর্যন্ত অনেক ইস্যু ঘটিয়েছে বিনষ্টির চক্রবৃদ্ধি। অহিংস আন্দোলন হলেও সহিংস ভাষা বর্ষিত হয়েছে অকাতরে। ব্যক্তি থেকে দল, প্রতিষ্ঠান, শেষে ভিন্নমতের সবাই হয়েছেন আক্রান্ত। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতাল, রেটিনা, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ, মুহাম্মদ ইউনূস, মাহমুদুর রহমান, কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, ফরহাদ মজহার, পিয়াস করিম, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, এবং আরও অনেকে হয়েছেন আক্রমণের শিকার। তারপর এসেছে নাস্তিক-মুরতাদ ইস্যু। এ ইস্যুতে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ মুসল্লিরা, ইসলামি সংস্কৃতির ধারক-বাহকরা। তাদের লক্ষ্য করে বিকৃত ভাষা ছড়িয়ে সমাজদূষণ করা হয়েছে সাইবার যুদ্ধের নামে। এ ইস্যুতেই এখন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে হেফাজত ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামি দল। এর মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলেছে জামায়াত-শিবিরের মারমুখো আন্দোলন, সন্ত্রাস-সহিংসতা এবং এর বিপরীতে পুলিশি দমন নির্যাতন নৃশংসতা। প্রকাশ্য ও গোপন হত্যার শিকার হয়েছে দু’শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ নর-নারী-শিশু, পুলিশ। রাজপথ আজ রক্তাক্ত, ঘরে ঘরে শঙ্কা। সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার ইস্যু। হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি মন্দির হয়েছে হামলার শিকার। মসজিদে তালা পড়েছে, অবমানিত হয়েছে শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা। ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক ধূম্রজালের। নানা জটিল ঘূর্ণি দেশের বাইরেও। জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্টতার খবর ভারতীয় গণমাধ্যমই দিয়েছে, সে সংহতি ও একাত্মতা এখন প্রকাশ্যেই স্পষ্ট। ওদিকে আন্তর্জাতিক সমাজে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিশ্লেষণ দিলেও ‘ফাঁসি চাই, জবাই করো’ সমর্থন করেনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবি যেখানে প্রবল হয়ে উঠেছে সেখানে অমন স্লোগান অস্বীকার করে আদালত ও বিচারব্যবস্থার যথার্থতাকেই। তারপর এ আন্দোলনকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণা দাবি রাখে বিশদ ব্যাখ্যার। স্বাধীন দেশে কি মুক্তিযুদ্ধ সংগত? আরও আছে। একটি প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্র, দু’টি বড় হাসপাতাল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবরোধ করে এমন ভয়াবহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কেন? নিরাপত্তা-প্রহরা, অঢেল খাদ্য, সাংস্কৃতিক বিনোদন ও অন্যান্য উপযোগিতা সেবা নিয়ে এ কেমন আন্দোলন? শিশুদের কেন উদ্বুদ্ধকরণ জিঘাংসায়? শেয়ারবাজার, ব্যাংক, বিদ্যুৎ, পদ্মা সেতু, বাজার সিন্ডিকেটসহ বিধ্বংসী দুর্নীতির ব্যাপারে চোখ-কান বুজে থাকা কেন? আসলে এক নষ্ট সময়ের নানা দায় ও বোঝা ঘাড়ে চেপে বসেছে জাগরণ আন্দোলনের। তাই বলে কি ফের রুদ্ধ হয়ে পড়বে জাতির আত্মার এ উন্মোচন? বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাবে ভুল পথে-পথে? না। কোনও আন্দোলনই বৃথা যায়নি কোনও দিন। শাহবাগ চত্বরের জাগরণ আন্দোলন আসলে শুরু করে দিয়েছে এক বৃহৎ জাতীয় আন্দোলনের প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আর এড়াতে পারবে না কেউ। একাত্তরের ও গত বিয়াল্লিশ বছরের সকল অপরাধ আসবে বিচারের আওতায়। আর সরকার যখনই কোন জনবিরোধী খেলায় নামবে তখনই গড়ে উঠবে জাতির গর্জনে মুখরিত জাগরণ মঞ্চ। একটিই সমস্যা। জাতি আজ বিভাজিত। দু’পক্ষই মরিয়া। এ বিভাজনকে এবার তীক্ষ্ণ তীব্র করেছে জাগরণ মঞ্চ, তবে একদিন এ মঞ্চই হয়তো শান্তি, সত্য, সমঝোতায় বাঁধবে দুই বৈরী পক্ষকে। সেদিনই প্রকৃত জয় হবে জাগ্রত তারুণ্যের। তারাই বলবে শেষ কথা। তারাই বলুক। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৬:২৭ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন শাহবাগি ব্লগারদের এবার অস্ত্রের আবদার শাহবাগি ব্লগারদের এবার অস্ত্রের আবদার হাসান শান্তনু « আগের সংবাদ 132 পরের সংবাদ» শাহবাগি ব্লগাররা এবার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছেন। লাইসেন্স পাওয়ার ন্যূনতম কোনো যোগ্যতা না থাকলেও দলীয় বিবেচনায় বিতর্কিত এসব ব্লগারকে লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তৌহিদি জনতা শাহবাগি নাস্তিক ব্লগারদের প্রতিরোধের ঘোষণার বিষয়টিকে লাইসেন্স দেয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে সরকার। ব্লগাররা ‘নিরাপত্তাহীনতার’ মধ্যে আছেন কারণ দেখিয়ে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে শাহবাগি ব্লগাররা দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা থাকলেও তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৭ ব্লগার পেয়েছেন গানম্যান আর ১৯ ব্লগার পেয়েছেন বিশেষ নিরাপত্তা। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বাকি ব্লগাররা আছেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। অনেকে সরকারি গাড়িসহ পুলিশি প্রহরায় চলাফেরা করছেন। শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সরাসরি কর্মী ডা. ইমরান এইচ সরকার বিশেষ নিরাপত্তার জন্য এখন থাকছেন রাজধানীর পাঁচতারকা একটি হোটেলে। তাকে বহনকারী গাড়ির সঙ্গে সাত-আট পুলিশ সদস্য পাহারা দেন। স্লোগানকন্যা লাকী আক্তারও সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরায় চলাফেরা করেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছে অধর্শত ব্লগারকে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হলেও ব্লগাররা বাসায় থাকছেন না। ডা. ইমরানের মতো কয়েক ব্লগার থাকছেন রাজধানীর কয়েকটি পাঁচতারকা হোটেলে। বাকিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শ অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকছেন। তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এসব ব্লগারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। পুলিশও পড়েছে বেকায়দায়। ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও উদ্বিগ্ন থাকতে হচ্ছে। এত নিরাপত্তার মধ্যেও শাহবাগি ব্লগারদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। তথ্য মতে, চলতি মাসের শুরুতে অর্ধশত ব্লগার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে। দিনে দিনে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলে একাধিক সূত্র দৈনিক আমার দেশকে জানিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রসঙ্গে গতকাল আমার দেশকে বলেন, ‘মার্চের শুরুতে প্রায় পঞ্চাশ ব্লগার অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য অবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তদন্তের স্বার্থে আবেদনকারীদের নাম বলেননি ওই কর্মকর্তা। তবে আবেদনকারীর মধ্যে সবাইকে লাইসেন্স দেয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। কথিত বিচারক, শাসকের দ্বৈত ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়া ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিত্সকদের সংগঠন স্বাচিপের নেতা ডা. ইমরান এইচ সরকারের কাছ থেকে এসব প্রসঙ্গে নানাভাবে চেষ্টা করেও বক্তব্য জানা যায়নি। তার ‘০১৭১১...৩৪১’ নম্বরে গতকাল বিকালে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। যোগাযোগ করলে ব্লগার আরিফ জেবতিক আমার দেশকে বলেন, ‘শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে আমি নেই। আমি অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিনি। অন্য কেউ করেছেন কী-না, আমার জানা নেই। ব্লগারদের মধ্যে কেউ ব্লগার হিসেবে বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার কারণে অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন কী না, তাও আমার জানা নেই।’ শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ও আলোচিত-সমালোচিত ১৯ ব্লগারের একজন মোরসালিন মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ৭ ব্লগার গানম্যান পেয়েছেন বলে জানা যায়। তারা হলেন ডা. ইমরান সরকার, অমি রহমান পিয়াল, আসিফ মহিউদ্দিন, মাহবুব রশিদ, লাকি আক্তার, মুক্তা বাড়ৈ ও মাহমুদুল হক মুন্সী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ১৯ ব্লগারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন বলে তার কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেদিন ১৯ ব্লগারের নাম উল্লেখ করে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নির্দেশপত্র পাঠানো হয়। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকেও ব্লগারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর সাত ব্লগারকে গানম্যান দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার আগে তার কার্যালয়ে ১৯ ব্লগারের নামের একটি তালিকা পাঠানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব ব্লগারের নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ১৯ ব্লগার হলেন ডা. ইমরান সরকার, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, প্রীতম আহমেদ, আসিফ মহিউদ্দিন, কামাল পাশা চৌধুরী, মাহবুব রশিদ, লাকী আক্তার, মুক্তা বাড়ৈ, শাকিল আহমেদ অরণ্য, মাহমুদুল হক মুন্সী, আলামিন বাবু, গোলাম রসুল মারুফ, কানিস আলমাস সুলতানা কিনু, জাকির আহমেদ রনি, মোরসালিন মিজান, ডা. রাশেদুল হাসান, পলাশ আহমেদ ও রাকিবুল বাশার রাকিব। উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম নামের একটি সংগঠনের নামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম দিন থেকে এর নেতৃত্বে আছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক বিভিন্ন বাম দলের নেতারা। এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৫:৫৩ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৩ অটো ব্লগিং করে মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আয় করুন ১০০-৩০০ ডলার বা তার চাইতেও বেশী। অটো ব্লগিং করে মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আয় করুন ১০০-৩০০ ডলার বা তার চাইতেও বেশী। টিউন করেছেন : Saon A Menz | প্রকাশিত হয়েছে : 16 January, 2013 on 9:29 pm | 5,341 বার দেখা হয়েছে | 66 Ads by Techtunes - tAds সালাম জানাই সবাইকে, গত পোস্টের প্রায় ২ সপ্তাহ পর আমার আজকের পোস্ট। গত পোস্ট যারা মিস করেছেন তারা এইখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। যারা বর্তমানে বেকার আছেন, ওডেস্ক বা ফ্রিলেন্সারে হাজার বিড করেও কাজ পাচ্ছেন না মুলত তাদের জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট। ইদানিং দেখা যাচ্ছে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছেন কিন্তু সফল হচ্ছেন না। কিন্তু এর কারন কি তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? আমার মনে হয় না। সবাই যদি এক রাস্তায় চলেন তাহলে তো রাস্তায় ভিড় হবেই আর নিজের লক্ষে পৌছাতে সময় লাগবেই তাই না? ইদানিং দেখা যায় সবার আগ্রহ গুটি কয়েক পন্থা ধরেই। ওডেস্ক আর এডসেন্সই বর্তমানে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। এতে কি হচ্ছে? এতে কম্পিটিশন বাড়ছে কিন্তু আয়ের কোন চান্সই দেখা যাচ্ছে না। আমি বলব অনলাইনে আয়ের অনেক উপায় আছে এবং সেই রাস্তা দিয়ে অনেক আয়ও করা যায় যদি আপনি নিজের চোখ কান একটু খলা রাখেন, একটু কষ্ট করেন আর একটু বিকল্প চিন্তা করেন। তো প্রায় ২ মাস যাবত আমি একটা বিকল্প নিয়ে কাজ করেছি আর আমি বলব আমি মোটামুটি সফল এখন পর্যন্ত আর এও বলব খুব ভালো ১টা রাস্তা এইটা। তো আসেন দেখি কিভাবে কি করবেন। অটো ব্লগিং এর নাম অনেকেই হয়ত শুনেছেন আবার হয়ত অনেকেই শুনেন নাই। যারা শুনেন নাই তাদের বলছি, অটো ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি আপনি ১-১০০০ ব্লগ পরিচালনা করতে পারবেন, পোস্টিং এর জন্য আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবেনা আর সারাদিন বসে বসে পোস্টিং ও করতে হবেনা। যেমন নাম তেমন কাজ। বেশ কিছু ভালো ফিচার পাবেন অটো ব্লগিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। যেমনঃ আপনি ১০০০ ব্লগ ১টি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন। আপনাকে জাস্ট ম্যানুয়ালি ব্লগ গুলকে তৈরি করে সেটিং করে নিতে হবে। অটো ব্লগিং সফটওয়্যার প্রতিদিন আপনার ব্লগে পোস্ট করে যাবে। তো কোন জায়গা থেকে অটো ব্লগিং সফটওয়্যার পোস্টিং করবে এইটা ১টা প্রশ্ন। উত্তর হল অটো ব্লগিং বিভিন্ন ব্লগের RSS FEED থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল GRAB করতে পারে আর তারপর আপনার ব্লগে সেই আর্টিকেল পোস্ট করবে। এমনকি ১টা আর্টিকেলের সম্পূর্ণ কন্টেন্ট ছবি থেকে শুরু করে সব কিছুই GRAB করবে আর তারপর পোস্ট করবে। এখানে কথা থেকে যায় যে বর্তমানে গুগোল এলগরিদম অনুযায়ী গুগোল কপি পেস্ট পোস্ট পছন্দ করেনা। সমাধান হলঃ অটো ব্লগিং সফটওয়্যারে আপনি পাবেন ট্রান্সলেট করার ব্যবস্থা। যেকোনো আর্টিকেলকে যে কোন ভাষায় রুপান্তর করে তারপর আবার ইংলিশে রুপান্তর করবে। পুরো ব্যাপারটা ক্লিয়ার করিঃ ধরেন ১টা ইংরেজি আর্টিকেল, এইটাকে যদি প্রথমে ফিনিশ ভাষায় ট্রান্সলেট করি আর তারপর আবার ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করি তাহলে কিন্তু পুরো আর্টিকেলটাই ইউনিক হয়ে যায় যদিও আর্টিকেলের মান ভালো হবেনা। আর আমাদের এই আরনিং ক্যাম্পেইনে খুব ভালো মানের আর্টিকেল এর প্রয়োজন নাই। তাহলে দেখা গেল অটো ব্লগিং সফটওয়্যার দ্বারা ইউনিক আর্টিকেল দেয়া সম্ভব। তো আপনি যদি প্রথমে ২০টা ব্লগ তৈরি করেন আর তারপর সবগুলো ব্লগকে অটো ব্লগিং সফটওয়্যার দ্বারা সেটিং করে নেন তাহলে অটো ব্লগিং প্রতিদিন আপনার সাইটে পোস্ট করবে। আর ১ মাসের মধ্যে আপনার সাইটে আপনি মিনিমাম ৫০০ ভিজিটর পাবেন। অবশ্য আপনাকে কিছু SEO এর কাজও করে নিতে হবে। আর কিভাবে SEO করবেন সেইটা আমি নিচে আলোচনা করেছি। এখানে আগে থেকেই বলে রাখা ভালো যে ব্লগ তৈরি করার আগে কিছু কি ওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। Google Adwords টুলস দিয়ে আপনি কিছু লো কম্পিটেটিভ কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন আর কি ওয়ার্ডের EXACT LOCAL MONTH সার্চ ভলিউম যাতে মিনিমাম ১০০০ হয়। এবার ফ্রি ব্লগিং সাইট ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে ব্লগ খুলবেন আর আপনার কি ওয়ার্ড ডোমেইন নেম হিসাবে ব্যাবহার করবেন। এতে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং এ তারাতারি এসে পরবে। তো আমি ধরে নিলাম আপনি ২০ টা কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করে ২০টা ব্লগ খুলেও ফেলেছেন। এবার খুব সুন্দর ভাবে আপনার ব্লগকে একটু সাজিয়ে নিন আর অনপেজ ফ্যাক্টর গুলকে ঠিক ঠাক করে ফেলুন। অর্থাৎ সাইট টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন, ইত্যাদি ইত্যাদি। তো আসেন দেখে নেই কিভাবে আপনি অটো ব্লগিং দিয়ে কাজ করবেন। আমি এইখানে যে অটো ব্লগিং সফটওয়্যার দিব সেইটার নাম হল "AUTO BLOG SAMURAI" এর মার্কেট প্রাইস হল ------। কিন্তু আমি আপনাকে এইটার Crack ভার্সন দিব। যদি এতো টাকা দিয়ে আমাদের সফটওয়্যার কিনেই কাজ করতে হয় তাহলে এই পোস্টের কোন মূল্যই থাকবেনা। নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। DOWNLOAD LINK ইন্সটল করে crack ফাইলটা ইন্সটল ডাইরেক্টরিতে কপি করে নিবেন তাহলে ফুল ভার্সন হয়ে যাবে। এবার সফটওয়্যার টা চালু করুন। উপরে বাম কোনা থেকে NEW সিলেক্ট করুন আর তারপর BLOG সিলেক্ট করুন। একটা নতুন উইন্ডো আসবে সেইখানে আপনার ব্লগিং প্লাটফর্ম সিলেক্ট করুন। ব্লগার হলে ব্লগার আর ওয়ার্ড প্রেস হলে ওয়ার্ড প্রেস সিলেক্ট করুন। আমি এখানে ব্লগার এর সেটিং দেখাব যদিও ওয়ার্ড প্রেসের সেটিং ও প্রায় একি ধরনের। আপনার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিবেন( Blogger Username & Password)। Connect And Get Blogs এ ক্লিক করুন। কয়েক সেকেন্ড পর আপনার সব ব্লগের লিস্ট দেখতে পারবেন। এবার আপনার ব্লগ সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে থেকে Add Blog এ ক্লিক করুন। আপনার ব্লগ সাকসেসফুলি এড হয়েছে দেখানো হবে। আপনি FEED যুক্ত করবেন কিনা জানতে চাওয়া হবে আপনি YES এ ক্লিক করুন। এবার আপনার ব্লগের আর্টিকেলের জন্য ফিড খুজার পালা। এইটা খুব একটা কঠিন কাজ না। আপনার ব্লগের যে কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করেছেন সেই কি ওয়ার্ড দিয়ে গুগোলে সার্চ দিন আর প্রথম ১০ টা সাইটের RSS FEED URL কপি করে নিন। তারপর ENTER FEED DETAILS ১টা লিংক দিন, how to identify ঘরে যেকোনো ১টা নাম দিন। তারপর আপনার কোন ব্লগে এই ফিড থেকে আর্টিকেল পাবলিশ হবে তা সিলেক্ট করতে নিচে ADD To Blog এ ক্লিক করুন আর আপনার ব্লগ সিলেক্ট করুন। এবার নিচে থেকে More Settings এ যান Article translet এর জন্য yes করুন আর সেটিং টা এইভাবে করুনঃ Auto Detect Language ---------- Germany----------------------English Finish করে বের হয়ে আসুন। এইভাবে আপনার সবগুল ব্লগকে ADD করে নিন। এবার আপনার ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করার সময়। মেইন উইন্ডো থেকে উপরে UPDATE এ ক্লিক করুন দেখবেন সকল ফিড গুলো ১টা ১টা করে আপডেট হচ্ছে। আপনার ব্লগে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তা সিলেক্ট করুন আর তারপর পাবলিশ করুন। আপনি schedule দিয়ে রাখতে পারেন আর আপনার দেয়া সময় অনুযায়ী আপনার ব্লগে আর্টিকেল পোস্ট হবে। ব্লগ তো বানানো হল কিন্তু ভিজিটর ছাড়া ব্লগের মূল্য ১ পয়শাও নাই। আর ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই SEO করতে হবে। এখন কথা হল এই ২০ তা ব্লগের জন্য seo করতে গেলে তো জান বাহির হইয়া যাইব তাই না? ভাবতে পারেন ২০টা ব্লগের লিংক বিল্ডিং কতটুকু কঠিন কাজ হইতে পারে? এইজন্য আমি কাজটাকে সহজ করার জন্য ব্ল্যাকহাট টুলস ইউজ করছি। আমরা অটো ব্লগিং এর পাশাপাশি অটো লিংক বিল্ডিং ও করবো। আর এইজন্য আমরা ইউজ করবো SENUKE XCR টুলস। SEO এর সাথে জড়িত কিন্তু এই টুলসের নাম শুনেন নাই এমন ১টা লোকও আপনি দেখাতে পারবেন না। লিংক বিল্ডিং এর বস এই সফটওয়্যার। খুব দ্রুত লিংক বিল্ডিং করতে পারে। এই টুলস ইউজ করার জন্য আপনাকে প্রতি মাসে ১০০ ডলার এর উপর গুনতে হবে কিন্তু আমি আমি আগেই বলেছি ইনকাম করার আগে ১ পয়শাও খরচ করবো না। আর তাই এইটারও Crack ভার্সন আপনাদের দিলাম। নিচে ডাউনলোড লিংক দেয়া আছে। Download Link Senuke XCR দিয়ে আপনি সোশ্যাল বুকমার্ক, ওয়েব ২.০, ফোরাম প্রোফাইল, আর্টিকেল সাবমিশন সহ বহু ধরনের লিংক বিল্ডিং করা যায় আর টা হয় খুব দ্রুত। আসুন দেখি কিভাবে এই টুল ইউজ করে আপনি আপনার সাইটগুলোর জন্য লিংক বিল্ডিং করবেন। এইখান থেকে আগে সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করুন। এইটা পোর্টেবল ভার্সন তাই ইন্সটল করার দরকার নাই। ফোল্ডার খুলে Senuk চালু করুন। Verify ক্লিক করুন। যত পোপআপ মেনু আসবে সব no সিলেক্ট করুন। এবার NEW তে যাবেন আর তারপর ACCOUNT CREATION সিলেক্ট করবেন। ডান পাশের ঘর থেকে RANDOM PROFILE লেক্ট করে ইমেইল একাউন্ট তৈরি করেন। ইমেইল একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে এবার সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। যদি আপনি সোশ্যাল বুকমার্ক করতে চান তাহলে সোশ্যাল বুকমার্ক মারক করে উপর থেকে স্টার্ট বাটন ক্লিক করুন। তার আগে উপরে SELECT PROFILE ঘর থেকে আপনার প্রফাইল সিলেক্ট করে দিবেন। দেখবেন আপনার সোশ্যাল বুকমার্ক সাইতগুলোতে একাউন্ট তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। আপনার কাছে ক্যাপচা চাইবে আপনি ম্যানুয়ালি ক্যাপচা লিখে দিবেন। আপনি চাইলে ২ ডলার খরচ করে ১ হাজার ক্যাপচা কিন্তেও পারবেন। তাহলে আপনাকে কষ্ট করে ক্যপচা পুরন করতে হবেনা। কিন্তু আমি আগেই বলেছিঃ ইনকাম করার আগে ১৳ খরচ করবনা। ধরে নিলাম আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেছে তো এবার ইমেইল ভেরিফিকেশনের পালা। সেটাও আপনাকে করতে হবেনা SENUKE নিজে থেকেই ইমেইল ভেরিফিকেশন করে নিবে। তো এবার আমাদেরকে সোশ্যাল বুকমার্ক করতে হবে। বর্তমান গুগোল এলগরিদমে সোশ্যাল বুকমার্ক খুবই পাওয়ারফুল আর খুব সহজেই এর দ্বারা লিংক বিল্ডিং করা যায়। তাই প্রতিটা পোস্টই পাবলিশ হবার পর সোশ্যাল বুকমার্ক করে নেয়া ভালো। এতে পোস্ট খুব দ্রুত গুগোল ইনডেক্স করে নেয়। আর খুব ভাল ট্রাফিকও পাওয়া যায়। তো আবার মেইন মেনুতে চলে যান তারপর NEW সিলেক্ট করুন আর এইবার SOCIAL BOOKMARKING সিলেক্ট করুন। নতুন উইন্ডো আসবে সেইখানে উপর থেকে আপনার প্রোফাইল সিলেক্ট করুন। OUTPUT URL LIST এর ঘরে যেকোনো ১টি নাম দিন (এই লিস্ট থেকেই আপনার ব্যাকলিঙ্ক গুলো পাবেন।) ।এখন RSS LIST এর ঘরে যেকোনো ১টা নাম দিন। এবার WEBSITE এর ঘরে যে সাইটের জন্য বুকমার্ক করতে চান সেই সাইট গুলোর লিংক দিন, আপনি চাইলে অনেকগুল লিংক দিতে পারেন। Title এর ঘরে পোস্ট এর টাইটেল দিন। TAGS এর ঘরে ট্যাগস দিবেন। DISCRIPTION এর ঘরে ডিসক্রিপশন দিন । এগুল সবই স্পিন করে নেয়া হবে তাই ভয়ের কিছুই নাই। এবার ডান পাশের ঘরে SELECT/DESELECT SITE WITH ACCOUNT মার্ক করুন। এতে যে সকল সাইটে আপনার একাউন্ট করা আছে সেই সাইট গুলোতেই শুধু বুকমার্ক করা হবে। উপরে বাম পাশের কোনা থেকে START করুন। বুক্মারকিং করা শুরু হবে। ক্যাপচা চাইলে ক্যাপচা দিবেন। এইভাবে আপনি খুব দ্রুত সকল সাইটের জন্য লিংক বিল্ড করতে পারবেন। আর যত লিংক বিল্ড করবেন ততই ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে। এবার আসি ইনকামের প্রসঙ্গে। ব্লগ তৈরি করা শেষ, SEO করা শেষ এবার তাহলে ইনকামের পালা। ইনকামের জন্য আমরা কয়েকটা সাইট ইউজ করবো সেইগুল হল এড লিফ, এড ফোক (অবাক হইয়া গেলাম ইংরেজি তে লিখলে পোস্ট ই পাবলিশ হয় না!!!) infolinks, clicksor. এই ৪টা সাইটে একাউন্ট করে নিন। এই ২ সাইটে ১৪০০ ক্লিক পরলে ১ ডলার আয় করা যায়। এইটা মিনিমাম। আমি সব মিনিমাম হিসাব করেই করেছি। এডলিফ আর এডফোক সাইট থেকে URL SHORTEND করে আপনার সাইটে শেয়ার করবেন। পারলে entry script ও ব্যাবহার করতে পারেন। তো ধরা যাক ১ মাস পর আপনার প্রতিটা সাইটে ৫০০ জন করে ভিজিটর আসছে। তাহলে পেজভিউ হবে মিনিমাম ৯০০। আর এডলিফ সাইটে ক্লিক পরবে প্রতিদিন ২০০ করে। আপনার আছে ২০ টা সাইট তাহলে ২০ সাইটের জন্য ২০ গুন ২০০ = ৪০০০ ক্লিক। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ২০ টা সাইট থেকে আসছে ৩ ডলার। আর মাসে ৯০ ডলার। এবার আসি Infolinks & Clicksor এর দিকে। প্রতিদিন যদি ৯০০ পেজ ভিউ হয় তাহলে ইম্প্রেশন আসবে ৫০০ থেকে ৬০০। আর যদি eCPM রেট ০.20 হয় তাহলে প্রতি সাইটের ডেইলি ইনকাম ১০০ সেন্ট। অর্থাৎ ২০ সাইটে ২ ডলার মাসে ৬০ ডলার। একি হিসাব আসবে clicksor এড থেকেও আর প্রতি মাসে এইখান থেকেও আয় হবে ৬০ ডলার। তাহলে সর্বমোট কত দাঁড়ালো? ৯০+.৬০+৬০=২১০ ডলার। খুব কি অলৌকিক কিছু মনে হচ্ছে? আমার মনে হয় না। সম্ভব এবং খুবই সম্ভব। এইটা করার জন্য খুব খর আর কাঠ পুরাতে হবে না। চেষ্টা করেই দেখেন। সব ম্যাটেরিয়াল তো ফ্রিতেই পাচ্ছেন তাই না? অনেক কষ্ট হয়েছে সম্পূর্ণ পোস্ট লিখতে। যদি একজনও মনে করেন এইটা একটা উপকারী পোস্ট তাহলেই আমার এই কষ্ট সার্থক হবে। আমি সবসমই চেয়েছি ভালো কিছু শেয়ার করতে। আমি চাই আপনারাও সফল হন এগিয়ে নিয়ে যান আমাদের এই ছোট্ট দেশটাকে। পরবর্তীতে নতুন পোস্ট পাবেন কিভাবে Reddit আর Stumbleupon সাইট থেকে আপনার সাইটের জন্য প্রতিদিন ২ হাজার ভিজিটর নিয়ে আসবেন। পোস্টে সমস্যা পেলে বা কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করুন। আমার ব্লগে ভিজিট করতে পারেন এই লিংক থেকে আর আমাকে ফেসবুকে পেতে আপনাকে যেতে হবে এই লিংকে এর দ্বারা পোস্ট করা নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক এই সময়ে ৭:৪৬ pm কোন মন্তব্য নেই: এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন পুরাতন পোস্টসমূহ হোম এতে সদস্যতা: পোস্টগুলি (Atom) ব্লগ সংরক্ষাণাগার ▼ 2013 (13) ▼ March (13) বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধ বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধশনিবার, ২৩... বাংলাদেশে ন্যায় বিচার আরেক ধরনের অপরাধশনিবার, ২৩... পাঁচ লাখ লোকের সমাবেশ এবং...রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৩... শাহবাগ আন্দোলন নষ্ট রাজনীতির শিকার শাহবাগি ব্লগারদের এবার অস্ত্রের আবদার অটো ব্লগিং করে মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আয় করুন ১০০-৩... আমার ল্যাপটপই যখন আমার অফিস চলুন একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট সম্পর্কে জানি জামায়াত নেতাকে ধরতে র‌্যাবের নিষ্ঠুর কৌশল! মাওলানা মাসউদের কয়েকশ’ লোকের কথিত মহাসমাবেশ! : সর... দাড়ি ধরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয় মাওলানা নাসি... দ্বীনের নবির কত অপমান আর সইব আমরা ! আমার সম্পর্কে নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন ছবি উইন্ডো টেমপ্লেট. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সময়ের সদ্ব্যবহার জাতিকে এগিয়ে নেবে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম শাহ আবদুল হান্নান [email protected] সময়ের সদ্ব্যবহার জাতিকে এগিয়ে নেবে 28 March 2016, Monday টেলিভিশন আধুনিক সভ্যতার একটি বড় অবদান। আজকে এর ফলে বিশ্বব্যাপী জ্ঞানের বিকাশ হয়েছে, যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের পরস্পরের জানাজানির সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এসবই বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞানের এ যুগে আমাদের অবশ্যই টেলিভিশনের ইতিবাচক দিকটি দেখতে হবে। টেলিভিশন আবিষ্কারের পর থেকে ৬০-৭০ বছর পার হয়ে গেছে। ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধার দিকসহ এর সামগ্রিক প্রভাব আজ আমাদের কাছে স্পষ্ট। বর্তমানে আমরা এমন একপর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যে, টেলিভিশনের খারাপ দিকগুলো পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় দেখেছি, অনেক বাড়িতে টিভি রাখা হয় না। এ মানসিকতাসম্পন্ন লোকও সেখানে আছেন। তবে অন্যান্য দেশের কথা ঠিক বলতে পারব না। বছর তিনেক আগে আমার এক ছাত্র আমাকে একটি বই দিয়েছে। বইটির নাম ছিল Four Arguments for the Elimination of Television, লেখক Jerry Mender। বইটি আমেরিকা থেকে প্রকাশ হয়েছে। সেখানে টেলিভিশনের ক্ষতিকর ছয়টি দিক তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ ছয়টি কারণে টিভি বন্ধ করে দেয়া উচিত। এ ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে টেলিভিশনের ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের সামনে বিভিন্ন সময় তুলে ধরা হয়। এসব কী প্রমাণ করে? এসব প্রমাণ করে, টিভির ব্যবহার বা টিভির কল্যাণকামিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সে প্রশ্ন কতটুকু সঠিক আর কতটুকু সঠিক নয়, সেই সামগ্রিক আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু সে প্রশ্ন উঠেছে, আর তা উঠেছে পাশ্চাত্য দেশগুলোতেই। এরকম বই আমাদের দেশেও লেখা হয়নি। আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত। নাচ, গান, সিনেমাই চ্যানেলগুলোর শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ সময়জুড়ে রয়েছে। সেখানে খেলাধুলার প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে খেলাধুলার জন্য কয়েকটি চ্যানেলই আছে। ২৪ ঘণ্টাই খেলাধুলাসংক্রান্ত অনুষ্ঠান সেখানে দেখানো হচ্ছে। আবার কার্টুন চ্যানেলও আছে। কিন্তু সমাজে এর প্রভাব কিভাবে পড়ছে? এটিকে কিভাবে দেখা হচ্ছে আর বাস্তবে মানুষের সময় কিভাবে ব্যয় হচ্ছে? সার্বিকভাবে আমরা দেখতে পাই, শিশু-কিশোর থেকে যুবক শেণী পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনেকের ৬-৭ ঘণ্টাই টেলিভিশনের পেছনে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা স্পোর্টস অ্যাডিকশন বা ক্রীড়াসক্তির ফলে ৫-৬ ঘণ্টাই খেলা দেখার জন্য ব্যয় করছে। এটি অনেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে, লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। তেমনি শিশুরা কার্টুন নিয়ে প্রায়ই ব্যস্ত থাকে। রাতে বা সকালে লেখাপড়ার মূল সময়টিও অনেকেই কার্টুন দেখে কাটায়। আবার কার্টুনের সব যে ভালো তা-ও বলা যায় না। সেখানেও মারামারি আছে, অস্ত্র চালানোর ব্যাপার আছে। সেসব দেখে শিশুদের একটু বয়স হলে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে- ‘আমার বন্দুক কোথায়?’ একজন যদি দিনে ৪ বা ৫ ঘণ্টাই টেলিভিশনের পেছনে ব্যয় করে, তাহলে অবস্থা কেমন দাঁড়ায়? টিভিতে তুলনামূলক ভালো প্রোগ্রাম হলেও সেখানে ৪-৫ ঘণ্টা ব্যয়ের প্রশ্ন চলে আসে। আমাকে বিভিন্ন ব্যক্তি টিভির সিরিয়াল প্রোগ্রামের কথা বলেছেন। সেগুলো কতটুকু ভালো, কতটুকু কল্যাণকর আর জ্ঞানের, সে বিষয়ের দিকে যাবো না। এ সিরিয়াল-মেগা সিরিয়াল প্রোগ্রামের একটি প্রভাব হলো, এর ফলে মহিলারা এ ধরনের প্রোগ্রাম দেখতে গিয়ে প্রতিবেশীর সাথে দেখা-সাক্ষাতের সময় পর্যন্ত বের করতে পারেন না। আগে মহিলারা যেভাবে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতেন, পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন, পাশের বাড়ি যাওয়া-আসা করতেন- সেটি কমে এসেছে এবং তারা সম্পূর্ণরূপে ঘরমুখী হয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভাবনা থাকছে, কোন সময় কোন প্রোগ্রাম শুরু হবে টিভিতে আর কোনটা দেখতে হবে। এর ফলে দেখা গেছে, আমাদের সামাজিকতা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। এতে আমাদের পারস্পরিক সহানুভূতি, কল্যাণকামিতা, খোঁজখবর নেয়া ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এসব স্পোর্টস, কার্টুন, নাচগান, সিনেমা কিংবা সিরিয়াল-মেগা সিরিয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে মানুষের যে খুব একটি মানসিক উন্নয়নসাধিত হয় কিংবা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে, তা বলা যায় না। এর সার্বিক প্রভাব নৈতিকও নয়, কল্যাণকরও নয়। অবশ্য কিছু ভালো প্রোগ্রাম আছে। এ বিষয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু টিভির সার্বিক প্রভাব কল্যাণকর কি না তা বলা মুশকিল। টেলিভিশন প্রসঙ্গে আমি এখানে যে বিষয়টি জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই, তা হচ্ছে সময়ের অপচয় প্রসঙ্গ। টেলিভিশন প্রোগ্রামের মধ্যে কতটা আদর্শ ও নৈতিকতা আছে আর কতটা নেই, এসব আলোচনা বর্তমান নিবন্ধের মূল বিষয় নয়। এখানে মূল কথা হচ্ছে, এতে কতটা সময় যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই লক্ষ করেছিÑ ছেলেমেয়ে, শিশু, গৃহিণী আর ছাত্রদের কী পরিমাণ সময় টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেখার পেছনে ব্যয় হয়। আমরা এটাও লক্ষ করলাম, এ জন্য দিনে ১ ঘণ্টা নয়, বরং গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ব্যয় হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭-৮ ঘণ্টাও চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি জাতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। একটি জরিপে দেখা গেছে, একজন মানুষের ৫০ থেকে ৬০ বছরের জীবনের ১২ বছর সময়ই ব্যয় হয়েছে শুধু টিভি দেখার পেছনে। একটি জীবনের যদি এ ১২ বছরই টিভির পেছনে চলে যায়, তাহলে তার অবস্থা আমরা কল্পনা করতে পারি! Dr. Hisham al-Talib তার Training Guide for Islamic Workers বইতে এ হিসাবের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এর সমাধান কী? আমার মনে হয়, এর জন্য একটি আন্দোলন দরকার। এ আন্দোলন সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তিগত, সামাজিক- সব পর্যায় থেকেই করতে হবে। সে আন্দোলনের স্লোগান হবে- ‘আমরা টিভি কম দেখব।’ এখানে আমরা টিভি দেখব না বা টিভি বন্ধ করে দিতে হবে- তা বলছি না। এখানে আমরা শুধু বলছি, টিভি দেখার সময় আমাদের কমাতে হবে। যে যার পছন্দ অনুযায়ী টিভি প্রোগ্রাম বেছে নিতে পারেন, কিন্তু এ জন্য সারা দিনই তাকে টিভি দেখতে হবে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। যিনি খবর দেখতে চান, দেখবেন। কেউ তার নিজের সবচেয়ে বেশি পছন্দের অনুষ্ঠান বেছে নিয়ে যদি শুধু সেটিই সীমিত সময় দেখেন, তাহলেও তার অনেক সময় বেঁচে যায়। দিনে দু-একবার খবরসহ সপ্তাহে কিছু ভালো অনুষ্ঠান কিংবা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, কার্টুন ছবি ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। তবে আমাদের টিভি দেখার সময় অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে, যদি আমরা জাতিকে গঠন করতে চাই। জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে সময়। সময় হচ্ছে জীবন। জীবনই হচ্ছে সময়। সময়ই যদি আমরা অপচয় করে ফেলি, তাহলে কী করে আমাদের উন্নতি সম্ভব! রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক কোনো উন্নয়নই সময়ের সদ্ব্যবহার ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের নতুন স্লোগান হওয়া উচিত- ‘আমরা টেলিভিশন কম দেখব এবং আমরা সময়কে কাজে লাগাব।’ এর ফলে যে বিশাল সময় বেঁচে যাবে, তা আমরা ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন- আমরা আমাদের ছাত্রজীবনের সময়গুলোতে বিভিন্ন লিটারেচার পড়তাম। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রসহ বিভিন্ন রকম সাহিত্য পড়তাম। আজকের দিনে সেগুলো পড়ার মাত্রা খুবই কমে গেছে। এটি যে কত বড় ক্ষতি তা আমরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারব। এর ফলে আমরা সাহিত্যও পড়ছি না। সাহিত্য হচ্ছে মানুষের জীবনের দর্পণ- এটি একটি দিক। অন্য দিক হচ্ছে, সাহিত্য মানুষকে মহৎ করে তোলে। যারা ওয়ার্ল্ড ক্ল্যাসিক পড়বেন, টলস্টয়, ম্যাক্সিম গোর্কি, পার্ল এস বাক আর রবীন্দ্রনাথের হোক বা আল্লামা ইকবালের হোক, নজরুলের হোক- তারাই জীবনে মহৎ হবেন। তাদের দ্বারা মানবতা কল্যাণ লাভ করবে। অথচ আজকে সে রকম লোক তৈরি হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ, বেশির ভাগ লোক আজ আর সাহিত্য পড়ছেন না। যখন একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, সেখানে সে প্রফেশনাল শিক্ষাই পাচ্ছে। সেখানেও সাহিত্যের গুরুত্ব কম। মাতৃভাষা বাংলা পড়লে আমরা নাক সিঁটকাচ্ছি, কোনো কোনো ইউনিভার্সিটি বলছে, এগুলো পড়ার দরকার কী? আমাদের সেই শিক্ষা দরকার, ‘যা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজে লাগবে, যা আমাদের কমিউনিকেশনের কাজে লাগবে, যা আমাদের কনস্ট্রাকশনের কাজে লাগবে।’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর দ্বারা মানুষরূপী রোবট তৈরি হবে, সত্যিকার মানুষ তৈরি হবে না। আমরা এ জিনিসটি ভুলে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে আমার মনে হচ্ছে, আমাদের সত্বর আত্মনিয়ন্ত্রণ দরকার। যেভাবেই হোক, আমাদের সময় বাঁচাতে হবে। আমরা সময় বাঁচাব, সময়কে মানবতার কাজে লাগাব, মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করব। জাতির কল্যাণে, জাতি গঠনে ব্যবহার করব। এ সময়কে আমরা ফ্যামিলির ডেভেলপমেন্টের কাজে ব্যবহার করব, আত্মগঠনে ব্যবহার করব, আত্মীয়স্বজন-প্রতিবেশীর জন্য ব্যবহার করব। সবশেষে গোটা জাতির কাছে বলতে চাই, সবাই এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন এবং প্রত্যেকেই নিজের পরিবারে টিভি ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে ফ্যামিলিতে মায়েদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। তারা নিজেরাই যদি বেশি করে টিভি দেখেন, তাহলে শিশুদের এটা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। আমি মনে করি, এ বিষয়টি সবার বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখা উচিত। পত্রিকাগুলো এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি একটি জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করা গেলে এতে আমাদেরই কল্যাণ হবে। আমার মতে, ‘আমরা টিভি কম দেখব : সময়কে কাজে লাগাব’- এ স্লোগান জাতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Oct, 2016 চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে করণীয় 29 Sep, 2016 মুসলিম সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য 22 Sep, 2016 শিক্ষা, ধর্ম ও পাশ্চাত্য সভ্যতা 15 Sep, 2016 সঙ্ঘাতের মুখে ইসলামি সভ্যতা 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 09 Sep, 2016 মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু 19 Aug, 2016 ইসলামি অর্থনীতির লক্ষ্য 26 Jul, 2016 মিসরের সামরিক সরকার ও ব্রাদারহুড 12 Jul, 2016 শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ গঠন 29 Jun, 2016 উৎসব পালন : বিভিন্ন দিক 02 Jun, 2016 জাকাত ফেয়ার : এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব 21 May, 2016 কওমি মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কিছু প্রস্তাব 18 Apr, 2016 পুঁজিবাদের অমানবিকতা ও ইসলামি অর্থনীতি 07 Apr, 2016 দি মেসেজ অব দি কুরআন এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাফসির 18 Mar, 2016 ইসলামি সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য একত্ববাদ 29 Feb, 2016 ইসলামে আর্থিক সুবিধা পুত্রের চেয়ে কন্যার বেশি 18 Feb, 2016 মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি মৌলিক সমস্যা : সমাধানের উপায় 12 Feb, 2016 অশ্লীল সংস্কৃতি ও ভ্যালেন্টাইন ডে 10 Feb, 2016 গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব 30 Jan, 2016 ইসলাম মানবাধিকার ও পাশ্চাত্য আধুনিকতা 24 Jan, 2016 শহরাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন 29 Dec, 2015 বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া 15 Dec, 2015 দারিদ্র্য বিমোচন : ইসলামের কৌশল 02 Dec, 2015 ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা 04 Oct, 2015 মানবাধিকার প্রশ্নে ইসলাম Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সফলদের ৬ কৌশল, যা তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার সফলদের ৬ কৌশল, যা তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছে 03 October 2016, Monday ১. হাসি যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনার মুখভঙ্গি। সব মানুষই তার উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে অন্যের কাছে তুলে ধরতে চায়। সদ্য পরিচিতের কাছে মুখভঙ্গির মধ্যে একটা আন্তরিক হাসি শীর্ষস্থান দখল করে। হাসি যেহেতু সবার আগে, কাজেই সেখানে মেকিভাব থাকলে চলবে না। খুব বেশি চওড়া হাসি দিলে মনে হবে আপনি স্নায়ুচাপ সামলাতে চাইছেন। হাসির ভঙ্গির এদিক-সেদিকে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে যেতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার হাসি যেন চোখ ছুঁয়ে যায়। নয়তো কপটচারি বলে মনে করবে সবাই। আর এ কাজে বেশ দক্ষ সফল মানুষরা। ২. সঠিক করমর্দন আন্তরিক ও সঠিক হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। এর মাধ্যমে আপনার আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। হয়তো একে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন না। কিন্তু করমর্দন একটা শিল্প। আর এতে আপনার পটু হয়ে ওঠা জরুরি। সফল মানুষের কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করে নয়, আবার একেবারে দুর্বল হাতে নয়, এমন করমর্দন করুন। তবে এ কাজের সময় মুখে আন্তরিক হাসি আর উষ্ণতা প্রদর্শন করতে হবে। ৩. পরিচিতি পর্ব যেকোনো মানুষের মনে কাছাকাছি পৌঁছতে মাত্র ৭ সেকেন্ডই যথেষ্ট। তবে মুখের কথার লেনদেনের মাধ্যমেই মূল পর্ব এগিয়ে যায়। ‘পরিচিত হয়ে খুব ভালো লাগলো’ সাধারণ কথাতেই উত্তেজনা পর্যন্ত প্রশমিত হয়ে আসতে পারে। আপনাকে যে কেউ বন্ধুসুলভ বলে মেনে নেবে। আবার অতিরিক্ত বন্ধুত্বপূর্ণ কথা বলতে যাবেন না, যা দৃষ্টিকটু লাগে। আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের জানান দিতে হবে। এই পরিচিতি পর্বে সফল মানুষের জুড়ি নেই। ৪. স্পষ্ট কথা বলুন অনেক মানুষের মুখে চমত্কার কথা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু তারা বলতেই পারে না। আলাপচারিতায় স্পষ্ট থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এখানে উচিত কথা বলার ক্ষেত্রে স্পষ্টবাদিতার কথা বলা হচ্ছে না। আপনি নিজেকে তুলে ধরতে স্পষ্ট থাকবেন। এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন মানুষ শুনতে আগ্রহী থাকে। আবার আপনার বক্তব্য যেন স্পষ্ট হয়, কঠিন অর্থ লুকিয়ে রয়েছে এমন কথা বলবেন না। সফল মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আপনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। ৫. চোখে চোখ এটি ইতিবাচক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। বক্তার চোখে চোখ রাখলে বিবেচনা করা হয়, আপনি তার কথা মনোযোগের সঙ্গে শুনছেন। আর আলাপচারিতার সময় এদিক-ওদিক বেশি বেশি তাকাবেন না। এতে আপনি যে মনোযোগী শ্রোতা নন তা পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ভালো শ্রোতার প্রতি বক্তার দুর্বলতা তৈরি হয়। এতে দুজনের বন্ধন দৃঢ় হয়। তাই সফলকামীরা চোখে চোখ রেখে যোগাযোগের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ৬. অঙ্গভঙ্গি মুখের কথার সঙ্গে যখন মানানসই অঙ্গভঙ্গি ফুটে ওঠে, তখন দারুণ স্মার্ট আপনি। একদল মানুষের মধ্যে আপনি যখন চমত্কার অঙ্গভঙ্গিতে কথা বলছেন, তখন সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আপনি। তবে মনে রাখবেন, মুখের কথার সঙ্গে হাত বা দেহের ভঙ্গির মিল থাকতে হবে। আবার অতিরিক্ত নড়াচড়া খারাপ দেখাতে পারে। অপূর্ব সমন্বয়টা যেকোনো সফল মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। --বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার 03 Dec, 2015 রংচঙা প্যাকেট, বাহারি বিজ্ঞাপন; আবার কোনও প্যাকেটজাত খাবার কিনলে খেলনা মিলছে ফ্রিতে। এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে শিশুদের খাদ্যাভাস পড়ছে মারাত্মক হুমকির মুখে। এসব খাবারের ফলে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাধিতে। কমছে শারীরিক সক্ষমতাও। বিশেষ করে বিভিন্ন ফ্লেভারযুক্ত ছোট প্যাকেটজাত পানীয়, ফলের কৃত্রিম স্বাদযুক্ত খাবার ছড়িয়ে রয়েছে বাজারে। এসব খাবারের ফলে মুটিয়ে যাওয়া থেকে কিডনির রোগ- এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে শিশুর; এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাবা-মায়েদের দেখা যায় অনেক সময় শিশুকে শান্ত করতে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে চকোলেট বা আইসক্রিম। এতে ক্ষণিকের পরিত্রাণ মিললেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কাটা থেকে যাচ্ছে অজানা। আর তাই ঘরে তৈরি খাবারে শিশুদের আকৃষ্ট করাটা এখন সময়ের দাবি- বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় অণুপুষ্টি-কণার ঘাটতি রয়েছে বলে জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫’তে বলা হয়েছে। পুষ্টিনীতিতে আরও বলা হয়েছে, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে এই অণুপুষ্টি-কণা। এরমধ্যে ভিটামিন এ, আয়রন, আয়োডিন, জিংক, ভিটামিন ভি-১২, ফলিক অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। আর খাদ্যে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ভি ১২-এর ঘাটতির কারণে অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুদের অধিকাংশ রক্তস্বল্পত‌‌‌ায় ‌‌‌ভোগে। অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করায় শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সার, কিডনি, জন্ডিস, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও স্থূলতা রোগে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা প্রক্রিয়াজাত খাবারের ঘোর-বিরোধী। প্যাকেটজাত খাবারে উচ্চমাত্রার ফ্যাট থাকে যেটা শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।এসব প্রক্রিয়াজাত খাবার ব্রেস্ট মিল্ক সাব্সটিটিউট অর্থাৎ বিএমএস আইনের পরিপন্থী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্যাকেটজাত খাবার যেমন- চকোলেট, জুস এগুলোতে উপাদানগুলো কতোটা সঠিক পরিমাণে থাকে সেটা আমাদের জানা নেই। এসবকে আর্কষণীয় করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকর ফুড কালার। এমনকি শিশুরা এখন ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছে এসব রাসায়নিকের জন্য। ইফফাত আরও বলেন, এসব প্যাকেটের গায়ে মেয়াদের তারিখ লেখা থাকে না, আমরা নিজেরাও শিশুদের দেওয়ার সময় সচেতনভাবে খেয়াল করি না। এখন শহরের অলিগলি এবং গ্রামের মুদি দোকানে এসব খাবার থাকে। এগুলো কোথায় ম্যানুফ্যাকচার হচ্ছে, নকল কিনা সেসব দেখার কেউ নেই। গ্রিন লাইফ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কাজী রকিবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নানা কারণে আমাদের মায়েরা গুড়োদুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যেসব প্রক্রিয়াজাত খাবার তারা শিশুদের দিচ্ছেন সেসবে প্রিজারভেটিভ, ঘনচিনি এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি। এসব কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে না। এসব খাবারের কারণে এ প্রজন্মের শিশুদের এনার্জি লেভেল তথা কায়িক শ্রমের সক্ষমতা নেই বললেই চলে। উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সাইফুল ইসলাম, ককসবাজার, 03 Dec,2015 01:36pm ঘরে তৈরী খাবার ও দেশী ফলফলাদি ছাড়া কোন কিছুই নিরাপদ না। খাদ্য নিরাপত্তার কী কী করা যায়? সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 19 Oct, 2015 সোমবার দুপুর নাগাদ সুখবরটি এলো। ব্রেকিং নিউজ-এর উত্তেজনায় সচিবালয় থেকে খবরটি জানালেন সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক। খবরটি হল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য সবার বেতন বেড়েছে প্রায় শতভাগ। সুনির্দিষ্ট করে বললে শতকরা ৯১.১১ ভাগ। একই হারে বেড়েছে ভাতাও। আমি এই খবরে অনেক খুশি। ধারণা করি দেশবাসীও খুশি। এর আগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতা বেড়েছে। আর তাও বেড়েছে শতভাগ। বেতন বাড়ানোর সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আশা করেছেন এবার প্রশাসনে দুর্নীতি কমবে। প্রার্থনা করি যেন তাই হয়। সরকারি কর্মচারী দেশে কমবেশি ২১ লাখ। আর ২১ লাখের সঙ্গে এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, স্পিকার, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মিলে সংখ্যাটি খুব সামান্যই বড় হবে। বিপরীতে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এদের সবাই যে উপার্জনক্ষম তা আমি বলছি না। কারণ দেশে উপার্জনক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৮ থেকে ৬০ ভাগ। তাহলেও সংখ্যাটি দাঁড়াবে ৯ থেকে ১০ কোটি। আর বেতন বাড়ল মাত্র ২১ লাখ মানুষের। তাদের কপাল। আর আমরা আমজনতারা অভাগা। অন্যের কপাল দেখেলে বাঙালি ঈর্ষান্বিত হয়। এটা নাকি বাঙালির একটা বড় দোষ। তবে আমি সত্যি বলছি, আমার ঈর্ষা নেই, তবে বেদনা আছে। না পাওয়ার বেদনা। দারিদ্র্যসীমার নিচে এখনও বাস করে ৩১.৫ ভাগ মানুষ। আয়ের টাকা দিয়ে খাবার কিনতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। যদিও বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশে এখন মূদ্রাস্ফীতির হার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবেই গড়ে প্রায় ৭ ভাগ। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে এই হার আরও বেশি। এখানে দারিদ্র্যসীমার নিচে এখনও বাস করে ৩১.৫ ভাগ মানুষ। তারা চরম দরিদ্র অবস্থায় বাস করেন। আয়ের টাকা দিয়ে খাবার কিনতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের, জীবনের অন্যসব চাহিদা পূরণতো দূরের কথা। যদিও বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। এর আগে প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারকে বছরে ব্যয় করতে হতো ৩৫ হাজার কোটি টাকা। নতুন পে-স্কেলে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকায়। যা বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ। আর এই বেতন-ভাতা আসে রাজস্ব বাজেট থেকে। মানে আমাদের আমজনতার ট্যাক্সের টাকায়। আমরাতো ট্যাক্স দেব। দিতেই হবে। কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, ‘সুনাগরিকরা ট্যাক্স দেয়।’ কিন্তু সুনাগরিক দেখতে কেমন তা আমরা জানি না। তাদের পেটে ভাত থাকবে কি থাকবে না, তাদের বেতন বাড়বে কি বাড়বে না তাও জানি না। রাজস্ব বোর্ড এ নিয়ে কিছু বলেনি। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর বেতন বাড়ার খবরটি যখন আসে তখন অফিসে আমার পাশেই ছিলেন সহকর্মী ফাতেমা আবেদীন নাজলা। নাজলা খবর শুনে বলে উঠলো, এবার সংসার খরচের বাজেটে আরও টান পড়বে। আমি অবাক হলাম তাদের বেতন বাড়লে নাজলার সংসার খরচে টান পড়বে কেন? নাজলার কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাইলাম। সহজভাবে বললেন, বাড়ি ভাড়া বাড়বে, রিকসা ভাড়া বাড়বে, চালের দাম বাড়বে, কাঁচাবাজারে দেখা দেবে আগুন আর আমার সন্তানের বেবি ফুড চলে যাবে হাতের নাগালের বাইরে। নাজলা যা বলেছে তা সরল অর্থনীতির হিসাব। বাজারে গেলেই টের পাওয়া যায়, অর্থনীতি পড়তে হয় না। আর অর্থনীতিবিদরাতো এরইমধ্যে হিসাব কষে দেখিয়েছেন এই সুখবরে কতটা দুঃসংবাদ রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। তারা বলছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ায় মূদ্রাস্ফীতির হার দুই অংকের ঘরে পৌঁছে যেতে পারে। মানে শতকরা ১০ ভাগ বা তারও বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য কিছু করি না। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’ প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করছেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন- এটা আমিও বিশ্বাস করি। তাঁর হাত দিয়েই দেশের উন্নয়ন গতি পেয়েছে। তিনি সব হারানো এক প্রধানমন্ত্রী। জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট বুকে বেঁধে হাসিমুখে মানুষের কষ্ট দূর করতে আগুয়ান। তিনি চেষ্টা করছেন নাগরিকদের জীবনে উৎসবের রঙ লাগাতে। তাইতো তিনি বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখেও বোনাসের ব্যবস্থা করেছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য। মন্ত্রিসভার জন্যও! এই জনগণ যেন দু’ভাগ না হয়। জনতা আর আমজনতা যেন স্পষ্ট না হয়। সরকারি আর বেসরকারি যেন না হয়। আমার বেতনও যেন বাড়ে। বেসরকারি বলে আমি যেন বঞ্চিত না হই। প্রয়াত রাজনীতিবিদ এবং লেখক আবুল মনসুর আহমেদের ‘আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর’ বইটি আমি আমার এই জীবনে একাধিকবার পড়েছি। আর সেই বইয়ে এক জায়গায় তিনি লিখেছিলেন, ‘যদি সারা ভারতের সব মানুষও কমিউনিস্ট হয়ে যায় তাহলেও দুটি দল হবে। মুসলিম কমিউনিস্ট এবং হিন্দু কমিউনিস্ট।’ তাঁর এই কথা আমার আজ খুব মনে পড়ছে। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের জনগণও যেন এখন দুই ভাগ। সরকারি জনগণ আর বেসরকারি জনগণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জনগণের প্রধানমন্ত্রী। এই জনগণ যেন দু’ভাগ না হয়। জনতা আর আমজনতা যেন এখানে স্পষ্ট না হয়। সরকারি আর বেসরকারি যেন না হয়। আমার বেতনও যেন বাড়ে। বেসরকারি বলে আমি যেন বঞ্চিত না হই। আমার সহকর্মী নাজলার সংসার খরচে যেন টান না পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার আশা বাংলাদেশে জর্জ অরওয়েলের কথা সত্য হবে না। তিনি তার দ্য এনিমেল ফার্মস বইয়ে বলেছিলেন, ‘All animals are equal, but some animals are more equal than others.’ এটা একটু পরিবর্তন করে বাংলায় বলা যায়, ‘সব নাগরিক সমান, কিন্তু কিছু নাগরিক একটু বেশি সমান।’ লেখক: হারুন উর রশীদ, সাংবাদিক উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য shohag, mirpur, dhaka, 19 Oct,2015 09:57pm valo likhesen vaia but govt ki asob amole nibe? ora to nijer ta niye busy A k Azad, Trust Bank Ltd, MLN., 21 Oct,2015 02:19pm Allah Jano PRODHAN MONTRY ka somoty dan korean. AMIN. সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:১০ টাকার ডাক্তার! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য ১০ টাকার ডাক্তার! 09 Apr, 2016 নিজ চেম্বারে চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. মো. এবাদুল্লাহ -সমকাল এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা থেকে 'শহরের বড় ডাক্তাররা ফি নেয় ৫০০-৬০০ টাকা। আমার মতো মানুষের পক্ষে কি সম্ভব তাদের কাছে যাওয়া? আর সদর হাসপাতালে গেলে লাইন দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়। সারাদিন কেটে যায়। সেদিন আর রিকশা চালাতে পারি না। উপার্জনও বন্ধ থাকে। স্ত্রী-সন্তানের পেটে ভাত যায় না। এই ১০ টাকার ডাক্তার তাই আমাদের মতো লোকজনের জন্য আশীর্বাদ। তার কাছে যদি কোটি টাকার সেবা পাওয়া যায়, তা হলে কী দরকার বলেন ৫০০-৬০০ টাকা খরচ করার?' অতএব, তার কাছেই আসেন সাতক্ষীরার ৫৮ বছরের রিকশাচালক শিবপদ দাস। আসেন আরও শত শত মানুষ। সাতক্ষীরার গণমানুষের ভরসার স্থল এই '১০ টাকার ডাক্তার' মো. এবাদুল্লাহ। কয়েকদিন আগেও যিনি ছিলেন 'পাঁচ টাকার ডাক্তার'। নানা বাস্তবতায় সম্প্রতি ফি আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সেবা কমেনি, তাই আগের মতোই ভিড় জমে ক্লিনিকে। প্রায় চার দশক ধরে এভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. এবাদুল্লাহ। শিবপদ বললেন, 'আমি এবং আমার পরিবার তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি প্রায় ৩০ বছর ধরে। তার ওপর অগাধ বিশ্বাস আমাদের। কী যে ভালো ব্যবহার করেন, যত্ন করে দেখেন_ মনেই হয় না আমরা ৫-১০ টাকার রোগী। তিনি যে ওষধু দেন তাতেই আমাদের রোগ সেরে যায়।' আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, 'আর বড় রোগের কথা যদি বলেন, সে তো আলাদা কথা। উনি কোটি টাকার ডাক্তারের মতো হাসিমুখে কথা বলেন, পরামর্শ দেন। আর কী চাই আমাদের?' সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. উৎপল কুমার দেবনাথ বললেন, 'বর্তমান সময়ে ৫-১০ টাকা কিছু না। ডা. মো. এবাদুল্লাহ মানুষের সেবায় বলতে গেলে বিনা পারিশ্রমিকে যে অবদান রেখে চলেছেন, তার তুলনা হয় না। জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর_ তিনি এর অনন্য দৃষ্টান্ত।' মানুষের এত ভালোবাসা পাচ্ছেন যিনি, সেই ডা. মো. এবাদুল্লাহর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সাতক্ষীরা জেলা শহরের পাকাপুলের মোড় এলাকায় 'নওয়াব ক্লিনিক' পরিচালনা করেন তিনি। আলাপচারিতায় বললেন, "আমার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন আমার দাদা নওয়াব আলী সরদার। দাদা আমাকে বলেছিলেন, মানুষের জন্য ডাক্তার হও। এটা ব্যবসা না। দেখ, সব শ্রেণী-পেশার মানুষই যেন তোমার সেবা পায়। দাদার কথা আমি আজও মনে রেখেছি। এর নামও রেখেছি 'নওয়াব ক্লিনিক'_ আমার দাদার নামে।" যেভাবে বেড়ে ওঠা :সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার অজপাড়াগাঁ কাদাকাটি গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম মো. এবাদুল্লাহর। তার বাবা আবদুল মোত্তালেব সরদার। ১১ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। স্থানীয় হামিদ আলী হাইস্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে প্রথম শ্রেণীতে এসএসসি পাস করেন তিনি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭০ সালে খুলনার বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে লেখাপড়ায় বিরতি দিয়ে চলে আসেন নিজের এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। তাদের সঙ্গেই থাকতেন বিভিন্ন স্থানে। যুদ্ধ শেষে আবারও ফিরে আসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। ১৯৭৭ সালে এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নি শেষে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই। পরে ১৯৮০ সালে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পল্লী চিকিৎসকদের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে যোগ দেন। এর পর সরকারি চাকরি নেন মেডিকেল অফিসার হিসেবে। চাকরির শেষ দিকে তিনি সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। শুরু হলো সেবাদান পর্ব :১৯৮০ সাল থেকে মরহুম দাদার কথা রাখতে প্রায় বিনা পারিশ্রমিকে ডা. এবাদুল্লাহ স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন। 'গরিব মানুষের কাছে ফি চাইতে আমার বিবেকে বাধে'_ তাই অফিস শেষে শহরের পাকাপুলের মোড়ে নিজের চেম্বারে তার নূ্যনতম ফি নির্ধারণ করেন মাত্র ৫ টাকা। যাতে বিভিন্ন স্তরের রোগীরা তার কাছে অনায়াসে আসতে পারেন। নিজের ফি বাড়িয়ে তিনি ১০ টাকা করেছেন হাল সময়ে, ২০১৪ সালে। কারণ তার ভাষায়, 'বেশ কয়েকজন নার্স স্টাফ রয়েছেন। তাদের বেতন দিতে হয়। তারা যাতে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন, সেজন্যই ফি ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ টাকা আমি নেই না।' তিনি আরও বলেন, 'আমি মানুষের কাছে টাকা নয়, দোয়া চাই। আমার কাছে যারা চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের বড় অংশই ভ্যানচালক, রিকশাচালক, খেটে খাওয়া মানুষ। রাস্তায় দেখা হলে আমাকে তারা সালাম দেয়, সম্মান করে_ এটাই আমার বড় পাওয়া।' চলে আসার সময় কথা হয় ডা. এবাদুল্লাহর কাছে চিকিৎসা নিতে আসা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামের রিজিয়া খাতুনের সঙ্গে (৫৫)। প্রশংসায় পঞ্চমুখ রিজিয়া বললেন, 'খালি বিনা ফিতে কেন, অনেক সময় ওষুধও বিনা টাকায় দেন উনি। তার কাছে এলেই আমাদের সমস্যা মিটে যায়। সত্যিই উনি গরিবের বন্ধু।' উৎসঃ সমকাল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: অর্থ সঞ্চয় করার কিছু পদ্ধতি Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার অর্থ সঞ্চয় করার কিছু পদ্ধতি 04 October 2016, Tuesday ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করাটা খুবই জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোন কারণে অর্থের সমস্যা হলে, সঞ্চয় করা সেই অর্থ দিয়ে অসুবিধা দূর করা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না, কীভাবে টাকা জমাবো। হাতে টাকা এলেই খরচ করে ফেলা আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। আপনারও যদি তেমন অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে সঞ্চয়ের কয়েকটা উপায় জেনে নিন। আর ভবিষ্যৎ সুন্দর করুন। ১) হাতে নগদ টাকা রাখার থেকে আমরা এখন অনেক বেশি কার্ড ব্যবহারে অভ্যস্থ। এতে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই অসুবিধাও রয়েছে। কার্ড ব্যবহারের ফলে, আমাদের কাছে নগদ টাকা রাখার দরকার পড়ে না। টাকার নিরাপত্তা নিয়েও মনে সংশয় থাকে না। একসঙ্গে প্রচুর টাকা সঙ্গে নিয়ে ঘোরা নিরাপদও নয়। তেমন এর উল্টোদিকটাও রয়েছে। কার্ড ব্যবহারের ফলে আমাদের কাছে টাকাটা খুব সহজলভ্য হয়ে যায়। কত টাকা খরচ করা হচ্ছে, তার কোন হিসেব থাকে না। তাই সঞ্চয় করার ইচ্ছে থাকলে, কার্ড ব্যবহার কমিয়ে দিন। ২) ইলেকট্রিকের খরচ কমান। অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইলেকট্রিক খরচ করবেন না। অযথা পাখা, আলো কিংবা এমন অনেক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আমরা ব্যবহার করে থাকি কিংবা শুধু শুধুই সারাদিন জ্বলতে থাকে, যার প্রয়োজন নেই। শুধু যেটুকু প্রয়োজন, সেইটুকু ইলেকট্রিকের ব্যবহার করুন। তাহলেই দেখবেন খরচ অনেক কমে গিয়েছে। ৩) আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই অপ্রয়োজনীয় প্রচুর জিনিস পড়ে থাকে। যা আমরা ব্যবহার করি না। যেমন ধরুন, নতুন একটা মোবাইল ফোন কেনার পর কি আপনি আপনার পুরনো ফোনটা ব্যবহার করেন? এরকমই জিনিস যা ব্যবহার করছেন না, সেগুলো বিক্রি করে দিন। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পুরনো জিনিস কম দামে কিনতে চান। তাদেরও দরকার মিটল আর আপনিও পুরনো জিনিসটির পরিবর্তে কিছু টাকা পেলেন। এবার এভাবে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে টাকাগুলো খরচ না করে জমিয়ে রাখুন। ৪) সুপারমার্কেটে প্রায়ই পুরনো জিনিস বিক্রির বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। সেখানে পুরনো জিনিস বিক্রি করে দিতে পারেন। এছাড়া হামেশাই কম দামে জিনিস কেনার সুযোগ আমরা পেয়ে থাকি। এমন সুযোগ পেলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একবারে বেশি পরিমানে কিনে নিন। দেখবেন আপনার অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছে। ৫) আধুনিক হওয়ার জন্য কিংবা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমরা এমন অনেক কিছুই করে থাকি, যা না করলেও চলে। যেমন ধরুন বিভিন্ন জিনিসের সাবস্ক্রিপশন। যদি আপনি অনলাইনে খবর পড়েন, তাহলে বাড়িতে খবরের কাগজ নেওয়া বন্ধ করে দিন। তেমনই, যদি আপনি নিয়মিত জিম কিংবা ক্লাবে না যান, তাহলে সেখানকার মেম্বারশিপ বাতিল করে দিন। বার্ষিক অনেক টাকা বেঁচে যাবে। ৬) বাড়িতে থাকাকালীন আপনি যদি ওয়াই-ফাই কিংবা ইন্টারনেটের বিশেষ ব্যবহার না করেন, তাহলে বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশনের পরিমান কমিয়ে দিন। যদি একান্তই ইন্টারনেটের দরকার পড়ে, তাহলে অল্প টাকার ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করুন। ৭) বাইরের খাবার খেতে আমরা সকলেই ভালোবাসি। বাড়ির খাবার একটানা ভালো না লাগলেই হোটেলে লাঞ্চ, ডিনার করতে চলে যাই। কিন্তু এভাবে প্রতিদিন হোটেলের খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরও সু্স্থ থাকে, আর খরচও বাঁচে। বাড়ির খাবার খাওয়াই সবথেকে ভালো। আর একান্তই যদি হোটেলের খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে ইন্টারনেট থেকে যা যা খাবার পছন্দ, তার রেসিপি জেনে নিন। আর নিজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। হোটেলের খাবারও খাওয়া হবে, আর খরচও কম হবে। বিডি প্রতিদিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে ? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে ? 01 Oct, 2016 চীন তাদের একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদী বাঁধ দিয়ে আটকে দিয়েছে। তবে এর ফলে ব্রহ্মপুত্রের ভাটিতে কোটি কোটি মানুষ পানির সংকটে পড়বে। ব্রহ্মপূত্র নদী চীনে 'ইয়ারলাং সাংবো' নামে পরিচিত। বলা হচ্ছে, এই নদীতে গিয়ে পড়া একটি উপনদীর স্রোত চীন বাঁধ দিয়ে আটকে দিয়েছে, যাতে করে নদীর পানি বিশাল জলাধারে আটকে রাখা যায়। চীন বলছে, এই জলাধারের পানি তারা সেচের কাজে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে তাদের এই প্রকল্পের লক্ষ্য জলবিদ্যুৎ তৈরি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু উজানের দুটি দেশ, ভারত এবং বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগ আছে। চীনের এই সর্বশেষ পদক্ষেপ নিয়ে অবশ্য বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য মুখ খুলছেন না। চীনের একটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তৈরি বাঁধ ব্রহ্মপুত্রের একটি উপনদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে, তার কি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ওপর? এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের একজন বিশেষজ্ঞ ড: আইনুন নিশাত বলেন, চীন আসলে কি করছে তার কিছুই আমরা জানি না। সেখান থেকে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। ড: আইনুন নিশাত বলেন, চীন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ব্যবহার করে অনেকগুলো জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এখান থেকে এক লক্ষ ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ইতোমধ্যে ঝাংমো নামে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে। চীন দাবি করেছিল যে এই প্রকল্পটির জন্য পানি প্রত্যাহার করা হবে না। এখন যেটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি এরকম দ্বিতীয় আরেকটি প্রকল্প। যদি এই প্রকল্পে সেচের জন্য পানি প্রত্যাহারের ব্যাপার থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। আইনুন নিশাত বলেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে যেটা হয়, বাঁধ দিয়ে প্রথম এক-দুবছর পানি ধরে রাখা হয়। এরপর প্রতি বছর নদীতে যে পানি আসে, সেটা ছেড়ে দিতে হয়। চীনের এই প্রকল্প যদি 'রান অব দ্য রিভার' টাইপের হয়, তাহলে সেটা ভালো। কারণ এতে বর্ষার সময় পানির প্রবাহ কমবে, কিন্তু শীতের মওসুমে বাড়বে। কিন্তু যদি তারা সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করে, তাহলে সেটার প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে পানির প্রবাহ কমবে, এবং সেটা কমবে শীতের সময়। আইনুন নিশাত বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের প্রধান কারণ এটা যে, চীন আসলে কি করছে, তার কিছু্‌ই বাংলাদেশ জানে না। ভাটির দেশের সঙ্গে তাদের একটা কথা বলা দরকার, বাংলাদেশকে জানানো দরকার, তারা কি করছে। ড আইনুন নিশাত বলেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে তিনি যা জানতে পারছেন, তাতে দেখা যায় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল চীনে গিয়েছিল ব্রহ্মপুত্রে কি হচ্ছে সেটা জানার জন্য। তখন চীন এই বলে আশ্বাস দিয়েছে যে এই প্রকল্পে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। বিবিসি ব্রেকিংনিউজ প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 28 Apr, 2016 লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই ভাইরাসের কারণে ১০ বছরের নীচে কোনো ওই লিচু খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তবে পশ্চিমঙ্গের মালদার পাঁচটি ব্লকে উৎপাদিত লিচুতেই শুধু এ ভাইরাস পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালের লিচু খেয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের ৭২ শিশু। তাদের মধ্যে ৩৪ শিশুরই মৃত্যু হয়। তখনই মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল পুনে ও অস্ট্রেলিয়ার একটি পরীক্ষাগারে। সেই সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল জেলায় উৎপাদিৎ লিচুও। আর সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। রিপোর্টে মালদার লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চলতি মওসুমে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য অফিস। ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে একটি বৈঠকও হয়েছে। জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলীপকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, অসুস্থ শিশুদের পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, এই ভাইরাস আক্রান্ত লিচু খেলেই ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুতহারে কমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বমি, খিঁচুনি, জ্বর, মাথাব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো জানান, শিশুদের কখনই খালি পেটে রাখা যাবে না। তারা যাতে খালি পেটে লিচু না খায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মালদা জেলার ৫টি ব্লকসহ বিহারের মুজফ্ফরপুরেও গত বছর লিচু খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যে এলাকাগুলোতে এ ঘটনা ঘটেছিল সেগুলোর ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আর্সেনিকের প্রভাবেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। তবে কীভাবে এই ভাইরাস থেকে লিচুকে রক্ষা করা যাবে, তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বাংলামেইল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 21 Jun, 2016 ঘন চিনির সাথে কাপড়ে ব্যবহৃত রঙ এবং সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘টিনস সফট ড্রিংকস পাউডার’। কোমল পানীয়তে এ ধরনের বিষাক্ত রাসায়ানিক ব্যবহারের অপরাধে এর প্রস্তুতকারক ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজিউমার প্রডাক্টস’কে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১টায় যাত্রাবাড়ী এলাকার ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজিউমার প্রডাক্টস’ কারখানায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব-১০। অভিযান শেষ হয় বেলা ৪টায়। অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি জানান, অভিযানে দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ঘন চিনির সাথে কাপড় তৈরির রঙ, স্যাকারিন এবং সাইট্রিক অ্যাসিডের সংমিশ্রণে টিনস নামের সফট ড্রিংকস পাউডার তৈরি করা হয়। এমনকি কোনো রসায়নবিদ, পুষ্টিবিদ ছাড়াই সাধারণ কর্মচারীদের দিয়েই তৈরি করা হয় এ পানীয়। তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় কারখানাটির গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ঘন চিনি জব্দ করা হয়। আমদানি নিষিদ্ধ এসব ঘন চিনি একটি চক্র মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশে নিয়ে আসে। পরে এসব কারখানায় চিনির পরিবর্তে তা ব্যবহার করছে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজিউমার প্রডাক্টস’ কারখানায় একই স্থানে কোমল পানীয় পাউডার ও রিম ডিটারজেন্ট নামক পাউডার তৈরি করছে বলেও জানান র‌্যাবের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদিকে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত নারিন্দা এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ‘ইয়ামিন ফুড প্রডাক্টস’ নামের অনুমোদনহীন আরেকটি কারখানায় অভিযান চালায়। এসময় সেখানে অত্যন্ত নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালি গায়ে ও ময়লা হাতে কর্মচারীদের কোলাকোলা নামক নুডলস তৈরি করতে দেখেন। পরে কারখানার মালিক মো. হাফিজুর রহমানকে (২৮) এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলোম। তাছাড়াও একই এলাকার ‘তানয়ীম সুইটস’-এ মবিল তেল দিয়ে জিলাপি ভাজা এবং অপরিষ্কার অবস্থায় মিষ্টি ও কেক উৎপাদন করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান এবং বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম। বাংলামেইল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 07 Feb, 2016 ‘জিকা’ ভাইরাসের কারণে ব্রাজিল ও কলম্বিয়ায় সম্প্রতি ছোট মস্তিষ্কের কয়েক হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ছোট মস্তিষ্কের শিশুর জন্মের পেছনে এডিস মশা দ্বারা ছড়ানো ‘জিকা’ ভাইরাসের সম্পর্ক থাকতে পারে। বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে শিশু জন্মের উদাহরণ থাকায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মৌসুমের আগেই এডিস মশা নিধনের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্বে ‘মাইক্রোসেফালি’ বা ছোট্ট মস্তিষ্কের শিশুর জন্ম বিরল নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ‘সিআরএস’ বা জন্মজনিত ত্রুটি জরিপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ৬ জন, ২০১৩ সালে ১১ জন, ২০১৪ সালে ৩৫ জন এবং ২০১৫ সালে ২৫ জন মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়। মাইক্রোসেফালি সনাক্তে সারাদেশের ১৯ টি সেন্টার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর মাথার আকার ছোট হওয়ার পাশাপাশি ব্রেইনের গঠনও সম্পূর্ণ হয় না। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক ও পিডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট ডা. শেখ আজিমুল হক জানান, মাইক্রোসেফালি মানে সারাজীবনের সমস্যা। শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে দু’টো কারণ পাওয়া গেছে; ১. মায়ের পেটে থাকা অবস্থা থেকে জন্মের সময় পর্যন্ত শিশু অক্সিজেন কম পেলে, আর ২. গর্ভাবস্থায় বিশেষ কিছু ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত রুবেলা, টক্সোপ্লাজমা, সাইটোমেগালো জাতীয় ভাইরাসের কারণে শিশুরা মাইক্রোসেফালি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এমনকি গর্ভবতী মা খুব বেশি অপুষ্টিতে ভুগলেও শিশু ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে। ‘তাই গর্ভবতী মায়ের জ্বর এবং ফুসকুড়ি দেখা দিলে, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বা চোখ লাল হলে আমরা তাকে সতর্ক করবো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তার রুবেলা বা জিকা হয়েছে। জিকা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে জানার সুযোগ এখন বাংলাদেশে নেই,’ বলেন ডা. রেজাউল করিম। জিকা ছাড়াও ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবেও মশা নিধনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি। ব্রাজিল ও কলম্বিয়ায় একই সময় কয়েক হাজার মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্মের পেছনে এডিস মশায় থাকা জিকা জীবাণুর জোর সংক্রমণের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্তক করেছে। বাংলাদেশে যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ আছে তাই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জানান, জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির পরামর্শে মশা নিয়ন্ত্রণের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং মশার ঘনত্ব কমানোর জন্য ব্যবস্থাগুলো জোরদার করতে হবে যেনো জিকা বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে। তার মতে, বাংলাদেশে মাইক্রোসেফালি থাকলেও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ আপাতত কম ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এখনই মশা নিধনে জোর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টি ও ডেঙ্গুর মৌসুম শুরুর আগেই মশা নিধন হলে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ছাড়াও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো অনেকটাই সম্ভব হবে। তবে এখনো জিকার ঝুঁকি থেকে মুক্ত বাংলাদেশ। উৎসঃ চ্যানেল আই প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 25 May 2016, Wednesday মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, মাত্র দু’দিনের বজ্রপাতে ২৬ জেলায় ৮১ জন মারা গেছেন। বজ্রপাতের আরেক নাম বাজ পড়া। আঞ্চলিকভাবে বজ্রপাতকে ‘ঠাডা’ নামেও অভিহিত করা হয়। ‘তোর মাথায় বাজ বা ঠাডা পড়ুক’- এটা অভিশাপের ভাষা। এর সাথে বাংলার মানুষ আদিকাল থেকে পরিচিত। তবে এবারের বজ্রপাতকে দেশের কোনো মানুষ মওসুমী কালবৈশাখীর মতো স্বাভাবিক ভাবছেন না। কেউ কেউ ফতোয়া দিয়ে দিচ্ছেন- অনাচার, অত্যাচার, নৈতিক অবক্ষয়, হত্যা ও জুলুমের বিপরীত এটা ‘গজব’। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হেনেছে। আধুনিক মানুষ ঝড় জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের আদুরে নাম রাখতে শিখেছে। কিন্তু মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে এখনো শিখেনি। পবিত্র কুরআনে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে ঢালাওভাবে গজব বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে সৃষ্টিকর্তার ক্রোধের খানিকটা বহিঃপ্রকাশ কিংবা ‘সতর্কবার্তা’। তা ছাড়া, এ ধরনের প্রাকৃতিক আচরণের মধ্যে ‘ভয় ও আশা’ লুকিয়ে থাকে। যেমন অনাবৃষ্টির মধ্যে থাকে ভয়। বিদ্যুতের চমক, মেঘের গর্জন, ঝড়ঝঞ্ঝা, প্লাবন ও বৃষ্টির মধ্যে ভয়ের সাথে রহমতও রয়েছে। জমির উর্বরাশক্তি তার মধ্যে অন্যতম। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আরো লাভক্ষতির কারণ অবশ্যই বিজ্ঞান খুঁজে দেখবে। তাই বিশ্বাস ছাড়া বিজ্ঞান অন্ধ। বিজ্ঞান ছাড়া বিশ্বাস খণ্ডিত। তাই এসব শুধু ভয় নয়, আশাও। গজব কিংবা আজাব নয়, সতর্ক হওয়ার তাগিদও। সাধারণভাবে গজবের কয়েকটি অর্থ রয়েছে। যেমন আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। জুলুম; অত্যাচার; প্রচণ্ড ক্রোধ। আবার আজাব অর্থ দণ্ড, শাস্তি বা সাজা। ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মমতে আজাব সাধারণভাবে পরকালে হিসাব-নিকাশের ফল, যা শাস্তি বা দণ্ড হিসাবে দেয়া হবে। পৃথিবীতে আজাব অথবা গজবের কিছু দৃষ্টান্ত সব ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। ফেরাউন-নমরুদের শাস্তি, আবরাহার পরিণতি, আদ ও সামুদ জাতির পরিণাম ছাড়াও অসংখ্য উপমা আসমানি কিতাবগুলোতে রয়েছে। হজরত নূহ আ:-এর জাতির ওপর প্রবল বর্ষণ ও প্লাবনও একটি দৃষ্টান্ত। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী পরিচালনার একটি স্থায়ী নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন, যা আদত বা নেছার। কুদরত হচ্ছে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেয়া, যা বিধাতার একক এখতিয়ার। এই এখতিয়ার প্রয়োগে সৃষ্টিকর্তা কার্যকারণ এড়ান না। প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রকৃতিই বেঁকে বসে। নানা ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয় তখন। এ জন্য সৃষ্টিকর্তাও ক্রোধান্বিত হতে পারেন। এ জন্যই বলা হয়, প্রকৃতির বিপর্যয় থেকে সৃষ্টিকর্তার ক্রোধের শিকার হওয়া মানুষের হাতের কামাই বা অর্জনের ফসল; এটা এক ধরনের গজব বটে। প্রাকৃতিক কারণে দু’দিনে দেশে এত লোকের মৃত্যুর নজির সাম্প্রতিক সময়ে নেই। স্বভাবত মানুষ ভাবতে চাইছে, এটা মানুষের বাড়াবাড়ির জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতীকী শাস্তি। এ ধারণা বিশ্বাস লালিত এবং সমর্থনযোগ্য। বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি নিয়ে একক কোনো কারণ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়নি। সাধারণভাবে বলা হচ্ছে, প্রকৃতিকে বৈরী করে তোলা, মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অংশত দায়ী। তার ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বসবাসের ঘনত্ব মৃত্যুর হার বাড়ায়। এটিও একমাত্র মত নয়। আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নদী শুকিয়ে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট হওয়া আর গাছ ধ্বংস হওয়ায় দেশে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এর ফলে আবহাওয়ার ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাতে বর্ষা আসার আগে মে মাসে তাপমাত্রা বেশি হারে বাড়ছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর সাথে, বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর সংঘর্ষে বজ্রঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই ধারায় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাত বা ছোবল ব্যাখ্যা করার সুযোগ রয়েছে। এত দিন বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা হিসাব রাখার বেশি গরজ ছিল না। সরকারিভাবে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভাবা হলেও বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে স্বীকারই করা হতো না। আবহাওয়া অধিদফতরের সাধারণ হিসাবে, মে মাসে নিয়মিতভাবে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। ১৯৮১ সালে মে মাসে গড়ে ৯ দিন বজ্রপাত হতো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে বজ্রপাত হয়েছে ১২ দিন। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন এক হাজার ৪৭৬ জন। একসময় দেশের বেশির ভাগ গ্রাম এলাকায় বড় বড় লম্বা গাছ ছিল। তাল, নারিকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। ফলে আশঙ্কা কমত মানুষের আঘাত পাওয়ার। গবেষকদের ধারণা, মানুষের কাছে এখন সব সময় মোবাইল ফোন থাকছে। দেশের অনেক এলাকায় মোবাইল ফোন টাওয়ার ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে কৃষিতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। পড়ন্ত বেলায় মানুষের ঘরের বাইরে অবস্থান বাড়ছে। সাধারণভাবে আকাশে সৃষ্টি হওয়া বজ্র মাটিতে কোনো ধাতব বস্তু পেলে সেদিকে ধাবিত হয় ও আকর্ষণ করে। স্বভাবত সান্ধ্যকালীন বজ্রপাত মৃত্যুর হার বাড়ায়। সাধারণভাবে বজ্রপাত হয় কালবৈশাখীর সাথে। তা ছাড়া, সাগর মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বায়ুপ্রবাহের স্বাভাবিক প্রবণতা ঝড় বজ্রপাত বাড়াচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, উন্মুক্ত স্থান, হাওর অঞ্চল, বিশেষ করে ফসলের খেতে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এরও কারণ চিহ্নিত করা গেছে। হাওর অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি। কৃষি মাঠে যন্ত্রপাতি বজ্রবিদ্যুৎ আকর্ষণ করে। লম্বা ও উঁচু গাছপালাহীন জনপদে মানুষের উপস্থিতি বজ্রবিদ্যুৎকে কাছে টানে। আবহাওয়াবিদেরা একই সুরে বলছেন, গ্রামে বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, নদীর শুষ্কতা, জলাভূমি ভরাট, মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি বজ্রপাতকে যেন আমন্ত্রণ জানায়। একই বক্তব্য দেয়া সম্ভব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কেও। তা ছাড়া, বিদ্যুৎ চমকানো দেখলে এখনো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার তাড়া থাকে না। এ ব্যাপারে সতর্কতাও কম, তাতে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেড়েছে। বিগত ছয় বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাগুলো সামনে রাখলে দেখা যাবে, বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে উন্মুক্ত জায়গায়। ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বা নৌকায় থাকা অনেকে নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে শিশু। বৈকালিক পরিবেশে খেলার মাঠে তাদের মৃত্যু হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এ লেখার উদ্দেশ্য বজ্রপাত নিয়ে গবেষণা নয়। যারা ভাবছেনÑ দুর্বিনীত শাসক ও খোদাদ্রোহী মানুষের কারণে আপতিত গজব, তাদের জবাব দেয়াও নয়। হ্যাঁ, এটা মানতে হবেÑ বিশ্বাসী মন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে খোদায়ী সতর্কতার আলামত খুঁজবেন, এটা বিশ্বাসের দাবি। তবে সব কিছুকে গজব বলে ক্ষোভ-দুঃখ প্রশমনের সহজ রাস্তা খোঁজা বোধকরি বিশ্বাসের দৃঢ়তা নয়। দুর্বলচিত্তে সান্ত্বনা পাওয়ার একটা উপায় মাত্র। এ ব্যাপারে খোদায়ী আজাব-গজব নিয়ে প্রাজ্ঞ আলেমরাই ভালো ব্যাখ্যা দেয়ার এখতিয়ার রাখেন। আল্লাহর নবী সা: যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্বিপাকে তাওবা ইস্তেগফার করে মোমেন বান্দাকে আল্লাহর রহমতের কাছে সমর্পিত হতে বলেছেন। তা ছাড়া আল কুরআনের সূরা বাকারাহর কয়েকটি আয়াতসহ বহু আয়াতে এবং সব ঐশীগ্রন্থ জুড়ে একটা সতর্কবার্তা রয়েছে। বিজ্ঞান যুক্তিনির্ভর কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করছে। তাই দেও-দানব নয়, বৈজ্ঞানিক যুক্তির সাথে বিশ্বাসের মেলবন্ধনে একটা উপসংহার টানতে পারি। দিন-রাত, আসমান-জমিন, জন্ম-মৃত্যু, ইজ্জত দেয়ানেয়াসহ সব কিছু এককভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ভারসাম্য রয়েছে সৃষ্টির প্রতিটি বস্তু, পদার্থ ও জিনিসের মাঝে। তাতে ব্যত্যয়গুলোর কারণ মানুষ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। বিদ্যুতের চমক, বজ্রের হুঙ্কার দেও-দানবের কাজ নয়, এটা এখন প্রকৃতি পূজারীরাও মানেন। তাই বিজ্ঞান ও গবেষণার পথ ধরে প্রকৃতি ও সৃষ্টিলোকের রহস্য খুঁজতে যাওয়াও এক ধরনের ইবাদত। কারণ, আসমানি কিতাবজুড়ে মানুষকে সৃষ্টিরহস্য ও প্রাকৃতিক নিয়মকানুন জানতে ও বুঝতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। জমিনে বিচরণ করে জানার পরিধি বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জ্ঞানী ও অজ্ঞ লোকের মধ্যে পার্থক্য থাকার কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে। পবিত্র কুরআনের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াও ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্টে আল্লাহ, ইলাহ বা গডের ক্রোধ থেকে বাঁচার প্রচুর তাগিদ রয়েছে। প্রকৃতি রক্ষার তাগিদ শুধু প্রকৃতিবাদী বা পরিবেশবাদীদের নয়, সব পূজারীরও, প্রার্থনাকারীদের তো বটেই। আল্লাহ বান্দাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন- পারত আকাশ ফুঁড়ে নিঃসীম নীলিমায় হারিয়ে যাও। পাতাল ভেদ করে অতলে চলে যাও। জন্ম-মৃত্যুর মালিক সেজে যাও। মানুষ এসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। পারেনি সূর্যের গতিরোধ করতে। দিন-রাতের আবর্তন পাল্টে দিতে পারেনি। এখনো মানুষ কিছু ‘সৃষ্টি’ করতে পারে না। একেবারে ধ্বংসও করতে পারে না। পারে শুধু রূপান্তর করতে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি থেকে অনুকরণ করে উদ্ভাবন করতে। এখন পর্যন্ত কী কেন, এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মানুষ গলদঘর্ম। তাই বিপর্যয় ঠেকাতে হলে ভাঙার চেয়ে গড়তে হবে বেশি। মানবিক সীমাবদ্ধতা মেনে সৃষ্টিকর্তার অফুরন্ত করুণা ও দয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। সব ধর্মগ্রন্থে প্রাকৃতিক ও অতিপ্রাকৃতিক সব দুর্যোগকে সৃষ্টিকর্তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ বলা হয়েছে। মানুষ যখন মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন বাড়িয়ে দেয়, দুষ্টের দমন না করে শিষ্টের ওপর প্রতিশোধ নেয়, অনাচার অবিচারকে ক্ষমতার স্বার্থে প্রয়োজনভাবে, তখন নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পথ ধরে গজব নামে। মানুষের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হলে, প্রকৃতিতে নানা বিপর্যয় দেখা দেয়। দুরারোগ্য ব্যাধি, ফসল হানি, অনাবৃষ্টি, দুঃশাসন, অত্যাচারী শাসকের জুলুম ইত্যাদি এ ক্ষেত্রে কয়েকটি উপমা মাত্র। মানুষের জন্য আশার কথা হচ্ছে- মানুষ এখন যেকোনো দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের একটা কার্যকারণ দাঁড় করাতে চেষ্টা করে। একটি বৈজ্ঞানিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে। তার ভেতর থেকে কিছু নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করার মতো যোগ্যতাও দেখাতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষ যত বাড়বে বিজ্ঞানের হাত ধরে বিশ্বাস স্পর্শ করার সুযোগও অবারিত হবে। তখন কোনটি ভয়ের, কোনটি আশার, কোনটি ক্ষতির, কোনটি লাভের, কোনটি ধ্বংসের, কোনটি গড়ার- সে ধারণাও স্পষ্টতর হবে। তখন ‘গজবকে’ ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞান বোঝা সহজ হবে। বিজ্ঞান দিয়ে গজব ব্যাখ্যা করাটা ইবাদততুল্য বিবেচিত হবে। তাই সব হতাশার ভেতর একটা আশাবাদের হাতছানিও রয়েছে। এটাও ঠিক, প্রতিটি হতাশার বিপরীতে আশা লুকিয়ে থাকে। ধ্বংসের বিপরীতে থাকে নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা। আসুন, বিজ্ঞান দিয়ে কার্যকারণ ব্যাখ্যা করি। বিশ্বাস দিয়ে সমাপ্তি টানি। অজ্ঞতার অভিশাপমুক্ত হলে বিশ্বাস ভরসা জোগাবে। আশাবাদের নবজাগৃতি অনিবার্য হবে। তখন সবাই কোরাস গেয়ে বলবে- ‘সত্য সমাগত, অসত্য বিতাড়িত, অসত্যের পতন অবশ্যম্ভাবী।’ [email protected] উৎসঃ dailynayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 16 June 2016, Thursday ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে দেশে দেশে রক্তক্ষরণের মাত্রা বেড়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে এর স্বরূপ হিংসাত্মক। আরব বিশ্বে হানাহানির ধরন আলাদা। সভ্যতার সঙ্ঘাতের দোহাই দিয়ে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অন্তহীন যুদ্ধে’র প্রতিপক্ষ এখন ইসলাম-মুসলমান। সেই যুদ্ধ-বিদ্বেষের সীমা অতিক্রম করেছে। এমন একটি প্রেক্ষাপটে এবার ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ খ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর জানাজা ও দোয়ার অনুষ্ঠান সম্প্রীতি ও আন্তঃধর্ম সমঝোতার একটি নতুন আবহ সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদ আলী মারা গিয়েও প্রমাণ করলেন তিনি ঐক্যের দূত। মানবতার মুখপাত্র। বর্ণ বৈষম্যবিরোধী, একই সাথে শান্তিবাদী কিন্তু প্রতিবাদী সাহসী যোদ্ধা। বিশ্বের গরিষ্ঠ মানুষকে আলোড়িত করলেন আলী। তার ক্রীড়া নৈপুণ্য, শিল্পসম্মত কলাকৌশল ও মানবিকতা সব ধর্ম শ্রেণী ও বর্ণের মানুষকে কাছে টেনেছে। বিশ্বাসের দৃঢ়তা ও গভীরতা তাকে বানিয়েছে বিশ্বনাগরিক, মুক্তিকামী মানুষের অন্তহীন প্রেরণা। কৃষ্ণসুন্দর নেলসন ম্যান্ডেলা কালো ধলো সব মানুষের মন জয় করেছিলেন। তারপরই ‘কালো সুন্দর’ মোহাম্মদ আলীর স্থান। দু’জন দু’জগতের মানুষ। দু’জনই মানবতাবাদী ও মুক্তিকামী। বিশেষত কালো মানুষের ‘ত্রাণকর্তা’। আলী পূর্বাপর মানবতাবাদী এবং মুষ্টিযুদ্ধের নিপুণ কলাকৌশলের স্রষ্টা ও ‘রাজা’। তাদের মাঝে তুলনা চলে না। কিন্তু দুটো মানুষকে আত্মস্থ করার জন্য এমন তুলনা যুক্তিহীন নয়। ম্যান্ডেলা যেমন বেঁচে থাকতেই বিশ্বের তাবৎ মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। আলীও মৃত্যুর আগেই তার প্রাপ্য সম্মান ও স্বতন্ত্র অবস্থানটি নিশ্চিত করে গেলেন। বিবিসির একটা ভাষ্য দিয়েই এই লেখার ভেতরে ঢুকতে পারি। ‘আলী ছিলেন দৃঢ়বিশ্বাসী এক মুক্ত মানুষ’; ‘যে আইন আলীর ভালো লাগত না, তিনি সে আইনটাকেই বদলে ফেলতেন’; ‘মোহাম্মদ আলীই ছিলেন আমেরিকা, তিনি আমেরিকা হয়েই থাকবেন।’ বিল ক্লিনটন থেকে বারাক ওবামার মতো বিশ্বনেতারা এভাবেই কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সম্পর্কে মন্তব্য করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি রাজ্যের লুইসভিল শহরে ১০ জুন শুক্রবার মোহাম্মদ আলীর বিদায় অনুষ্ঠানে সব ধর্মাবলম্বীর মিলনমেলায় বিশ্বনেতারা এমন মন্তব্যে সহমত পোষণ করলেন। সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ও মানবাধিকার সংগ্রামী মোহাম্মদ আলী ৩ জুন ৭৪ বছর বয়সে মারা গেলেন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর লুইসভিলে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের কালের এক মহানায়কের মহাপ্রয়াণে এই শহরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী। সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে শেষ বিদায়ের এ অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন শরিফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে বিল ক্লিনটন বললেন, ‘মোহাম্মদ আলী ছিলেন দৃঢ়বিশ্বাসী একজন মুক্ত মানুষ। আমার ধারণা, খুব অল্প বয়সেই আলী নিজের জীবন নিজেই রচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’ বাস্তবেও তার জীবনে তাই ঘটেছে। বড় মেয়ে মালিয়ার গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানাজার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। তবে সহকারী ভ্যালেরি জ্যারেটকে দিয়ে ঠিকই বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়, ‘আলী তাঁর সময়ের যে কারো চেয়ে বড়, উজ্জ্বল ও প্রভাবশালী। মোহাম্মদ আলীই ছিলেন আমেরিকা। আমেরিকা তার নামেই সবসময় পরিচিত হবে।’ স্থানীয় যাজক কেভিন কসবির মন্তব্য ছিল মনে রাখার মতো, “জেমস ব্রাউন ‘আমি কালো এবং আমি গর্বিত’ বলার আগেই আলী বলেছিলেন ‘আমি কালো এবং আমি সুন্দর’।” এভাবেই আলীর নামের সাথে জুড়ে গেল ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী লোনি আলীর কালজয়ী মন্তব্যটি হচ্ছে, ‘যদি কোনো নিয়ম আলীর পছন্দ না হতো, তাহলে সে নিয়ম বদলে তিনি নতুন করে লিখতেন। একজন মানুষ সম্পর্কে তার স্ত্রীর এমন মন্তব্য ব্যতিক্রমী ও বিরল। আমেরিকার সিভিল রাইটস আন্দোলনে আলীর সক্রিয় ভূমিকা তার গণমুখী চরিত্র এবং সংবেদনশীল মানসেরই বহিঃপ্রকাশ। একই সাথে, স্ত্রীর ওই মন্তব্যের বাস্তব প্রতিফলন। জানাজার এই স্মরণীয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানও উপস্থিত ছিলেন। তবে অজ্ঞাত কারণে বক্তার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এরদোগান তাই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ না করেই দেশে ফেরেন। আমেরিকার মানুষ তো বটেই; তাবৎ বিশ্ববাসী আলীকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রেখে সম্মান দেখাতে চেয়েছে। তবে ইহুদি লবির কিছু মানুষ চায়নি মোহাম্মদ আলী আসমান ছোঁয়া সম্মান পাক; স্মরণে বরণে অনন্য হয়ে থাকুক। তার জানাজা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে মুসলিম উম্মাহর বিশ্বাসী ধারা প্রাধান্য পাক, এটা সেই লবিটি চায়নি। তারই জের ধরে বক্তার তালিকা নিয়ে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু মরহুম মোহাম্মদ আলী যেন জীবিত আলীর চেয়েও বেশি প্রভাবক হয়ে বিদায় নিলেন। তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে কারো বাধাই বড় হয়ে দেখা দিতে পারেনি। মানুষ আলীর প্রাপ্যটুকু পাইয়ে দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। সব মানুষের বিবেচনায় ছিল, মুষ্টিযুদ্ধে বিস্ময় সৃষ্টিকারী, কিংবদন্তি আলী তিনবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছেই আলী ছিলেন স্বপ্নের নায়ক এবং ‘রিং-এর রাজা’। মুষ্টিযোদ্ধা ছাড়াও মোহাম্মদ আলী মানবাধিকার কর্মীর অবস্থানে অন্য যেকোনো মুষ্টিযোদ্ধার চেয়ে অনেক বেশি ব্যতিক্রম; অনেকটা আলাদা। ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি নিজের মফস্বল শহর লুইসভিলে আলীর জন্ম। বিশ্বাস পরিবর্তনের আগে আলীর নাম ছিল কেসিয়াস মারসেলাস ক্লে। তৎকালীন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন সনি লিস্টনকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই কালো মানুষদের মাঝে ইসলাম-প্রচারক ম্যালকম মোহাম্মদ এক্সের সান্নিধ্যে এসে জেনে বুঝে বিশ্বাস পাল্টাবার সিদ্ধান্ত নেন। তখন আলীর বয়স মাত্র ২২ বছর। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও বর্ণবৈষম্য আলী ঘৃণ্য আচরণ মনে করতেন। ইসলামের মধ্যে নিজের চিন্তার খোরাক খুঁজে পেয়ে দ্রুত ইসলামে দীক্ষিত হন কেসিয়াস ক্লে। নতুন নাম গ্রহণ করেন ‘মোহাম্মদ আলী’। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে রোমে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে লাইট হেভিওয়েট বক্সিং ইভেন্টে স্বর্ণজয় করেছিলেন ১৯ বছরের আলী। সাদা চামড়ার লোকদের জন্য সংরক্ষিত একটি রেস্তোরাঁয় কালো বলে তাকে খাবার পরিবেশন করতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রতিবাদে অলিম্পিকে পাওয়া সোনার মেডেল ওহাইয়ো নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন আলী। ১৯৫৬ সালে গোল্ডেন গ্লাভস লাইট হেভিওয়েটেও স্বর্ণ জয় করেছিলেন তিনি। বক্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ নিয়ে তার অগ্রসর হওয়ার গল্পটিও অভিনব। তখন ক্লের বয়স মাত্র বারো বছর। জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাওয়া বাইসাইকেল চুরি হওয়াতে ক্ষুব্ধ ক্লে পুলিশের শরণাপন্ন হন। পুলিশের কাছে ক্ষোভের সুরে জানিয়ে দেন, বেটা চোরকে ধরতে পারলে আচ্ছা করে প্রতিশোধ নেবেন। এই সুবাদে পরিচয় ঘটে বর্ণবাদে বিশ্বাসী নন, এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে। পুলিশ অফিসারের বক্তব্য ছিল, চোরকে শাস্তি দিতে হলে আগে বক্সিং শেখো। তার প্রেরণায় বক্সিং শেখা শুরু। বলা চলে, পুলিশ কর্মকর্তা জো মার্টিনই ক্লের প্রথম ওস্তাদ। ক্লে ভর্তি হলেন শহরের ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এভাবেই কেসিয়াসের পথ চলা শুরু। তারপর না থামার কাহিনী। তত দিনে ভিয়েতনাম যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট গেরিলাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক ও বর্বরোচিত যুদ্ধ করছিল আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ যুদ্ধে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানান মোহাম্মদ আলী। সরকারি নির্দেশ এভাবে অমান্য করা ধৃষ্টতা হিসেবে দেখা হয়। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। যুদ্ধবিরোধী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস করতেন, যুদ্ধ মানে ধ্বংস। যেকোনো যুদ্ধেই গণহত্যা ঘটে। নির্দোষ মানুষদের প্রাণসংহার করা হয়। ইসলাম এমন গণহত্যা স্বীকার করে না। তাই তিনি ঘোষণা দিলেন, অনৈতিক যুদ্ধে যাবেন না। এ জন্য মোহাম্মদ আলীকে পাঁচ বছর কারাবাসের শাস্তি দেয়া হয়। একই সাথে, কেড়ে নেয়া হয় তার বিশ্ব হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধের শিরোপা। আলী শিরোপা হারালেন, কিন্তু অর্জন করলেন শান্তির দূতের নতুন এক বিরল খ্যাতি। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে মোহাম্মদ আলীর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়াজুড়ে। তখন তার বয়স মাত্র ২৫ বছর। ১৯৭০ সালে তিন বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি মেলে রিংয়ের রাজা আলীর। ফিরে আসেন বক্সিংয়ের রাজ্যে। জেলজীবন তার পেশাদারিত্ব ক্ষুণœ করেছিল। দুর্ভাগ্য, তখনকার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন জো ফ্রেজিয়ারের কাছে হেরে যান। দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে অপরিচিত কেন নর্টনের কাছেও হেরে যান মোহাম্মদ আলী। সাত মাস পর ফিরতি লড়াইয়ে তিনি নর্টনকে পরাজিত করেন। ১৯৭৪ সালে জো ফ্রেজিয়ারের সাথে দ্বিতীয় লড়াইয়েও আলী জেতেন। ওই বছরই কঙ্গোর রাজধানী জায়ারে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ। একই বছর বিশ্ব হেভিওয়েট যুদ্ধে আলী অষ্টম রাউন্ডে হারাতে সক্ষম হন জর্জ ফোরম্যানকে। এরপর দু’বার হেরে তৃতীয় বার ফিরতি খেলায় আবারো শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন আলী। এভাবেই তিনবার ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অমর কাব্য লিখেছিলেন মোহাম্মদ আলী। আলী তার ক্রীড়াজীবনে ৫৬ বার মুষ্টিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। হেরেছিলেন মাত্র ৫টিতে। ১৯৮১ সালেই মোহাম্মদ আলী মুষ্টিযুদ্ধের ভুবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে পারকিনসন রোগ ধরা পড়ে তার শরীরে। ধীরে ধীরে আলী শারীরিকভাবে সক্ষমতা হারাতে শুরু করেন। দেশে দেশে তার সফর কমিয়ে দিলেন। ত্রাণকাজে অংশগ্রহণ করার মাত্রাও কমাতে বাধ্য হন। তবে নতুন এক শিল্পনৈপুণ্যের কারিগর আলী মুষ্টিযুদ্ধকে একটি নান্দনিক ও শৈল্পিক খেলার পর্যায়ে টেনে তোলেন, যা একসময় হিংস্রতা ও বর্বরতার তামাশা হিসেবে দেখা হতো। তার দৃষ্টিনন্দন নৈপুণ্য ও ক্ষিপ্রতা ছিল নজর কাড়া ও মন ভোলানো। প্রজাপতির মতো ছন্দতালে আলী যখন মুষ্টিযুদ্ধের রিংয়ের মধ্যে নাচতেন আর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শাণিত আক্রমণ হানতেন, তখন দর্শকও তার সাথে নাচত। ছন্দতালে স্লোগান দিত ‘ইয়া আলী’। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের মশাল প্রজ্বলনের দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ আলীকে। ৩৬ বছর আগে বর্ণবৈষম্যের শিকার ব্যথাতুর ও প্রতিবাদী আলী ওহাইয়ো নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন অলিম্পিকে তার অর্জিত সোনার মেডেল। আটলান্টা অলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে দেয়া হয় নতুন একটি সোনার মেডেল। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেলও তাকে দেয়া হলো। আলী হয়ে উঠেছিলেন অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির দূত; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রক্ষক। তাদের স্বার্থের পাহারা ছাড়াও মানবতার কান্নায় আলী এতটাই সংবেদনশীল ছিলেন যে, দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সামর্থ্যানুযায়ী ভূমিকা রাখতেন। যত বিতর্কই থাকুক, ‘নেশন অব ইসলাম’ নিয়েও আলী ভেবেছেন। ম্যালকম এক্স, ইউসুফ ইসলাম, লুই ফারাহ খান ছাড়াও মার্টিন লুথার কিং আলীর জীবনে ইতিবাচক ছায়া ফেলেছেন। আন্তঃধর্ম সহাবস্থান ও সংলাপের একটা প্রক্রিয়াও তিনি শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর কাছে আলী ছিলেন ‘ভ্রাতৃতুল্য’। আলী কখনো নিজেকে ইসলামের মুখপাত্র বলেননি। তবে ইসলামের প্রতি বিশ্বাসে তার জীবন পাল্টে যাওয়ার অনেক স্মৃতি চারণ করা সম্ভব। ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর শাশ্বত বাণী তিনি আক্ষরিক অর্থে আত্মস্থ করেছিলেন। তাই বক্সিংয়ে আলী যতটা তেজস্বী, সিজদায় আলী ততটাই বিনম্র ও বিনয়ী। তার জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়েছে। তার মাগফিরাত কামনায় নারী-পুরুষের মোনাজাতের হাত আরশের প্রভুর দরবার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার আকুতি কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। একটি স্মরণীয় ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। একবার হলিউড কর্তৃপক্ষ কৃতী মানুষের তালিকায় তার নামটিও খোদাই করতে অনুমতি চাইলেন। মোহাম্মদ আলী সাফ জানিয়ে দিলেন, আমার আগ্রহ অনাগ্রহ বড় নয়। নাম লিখলে আমার নামটা এক নম্বরে লিখতে হবে। কারণ আমি নই, এটা যে প্রিয়নবী সা: ও তার সাহাবার নাম। তাই এটা নিচে থাকতেই পারে না।’ ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোহাম্মদ আলী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশেষ আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঢাকার বর্তমান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেদিন স্মরণীয় নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিল। স্টেডিয়ামে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মোহাম্মদ আলী সেদিন বক্সিং কৌশল প্রদর্শন করেছিলেন এক প্রতীকী মুষ্টিযুদ্ধে। যেখানে তার প্রতিপক্ষ ছিল এক কিশোর মুষ্টিযোদ্ধা। ঢাকা ছাড়াও সুন্দরবন ও কক্সবাজার পরিদর্শন করে বাংলাদেশের পরিবেশ সম্পর্কে মুগ্ধচিত্তে মন্তব্য করেছিলেনÑ ‘স্বর্গীয়’। মোহাম্মদ আলীর কৃতিত্ব ও অবদানের স্বীকৃতি দিতে কক্সবাজারে তাকে একখণ্ড জমিও উপহার দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্বও দেয়া হয়েছিল তাকে। আজ মোহাম্মদ আলী নেই। না ফেরার দেশ থেকে আর কখনো ফিরবেন না। আদম সন্তানদের কষ্ট দেখে ছুটে যাবেন না। যুদ্ধ দেখে প্রতিবাদী হওয়ার পথও রুদ্ধ। দুনিয়াজুড়ে উম্মাহর সদস্যদের অসম্মান তাকে আর বিক্ষুব্ধ করবে না। তবে তার বিদেহী আত্মা বা রূহ তখনই শান্তি পাবে যখন বর্ণবৈষম্য ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বাসী মানুষ রুখে দাঁড়াবে। সত্যের পথে তারুণ্যের মিছিলে আলী প্রেরণা হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। আমরা আশা করি, আল্লাহ তার বেহেশত নসিব করবেন। আলীকে সম্মানিত করবেন তার বিশ্বাস বদলের জন্য; মানুষের খেদমত করার এক অনন্য নজির সৃষ্টির জন্য। আলীর জন্মস্থানে আজো বিশ্বাসী মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এখানে সেখানে প্রতিশোধস্পৃহার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। এখনো আমেরিকা যুদ্ধবাদী নীতি থেকে সরে আসেনি। আলীর উত্তরসূরিদের বড় দায়িত্ব বর্ণ ও ধর্ম বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আলীর ‘ভিয়েতনাম উপমা’র মতো সামর্থ্য অনুযায়ী জনমত সৃষ্টি করতে হবে। তবেই না আলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মমত্ববোধ দেখানো অর্থবহ হবে। উৎসঃ নয়াদিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:দেশে নতুন রোগের প্রকোপ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 01 Feb, 2016 লেপ্টোস্পাইরোসিস নামে দেশে নতুন এক রোগের প্রকোপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন রোগ বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত ইঁদুর বা গৃহপালিত প্রাণীর মূত্র থেকে লেপ্টোস্পাইরা নামের জীবাণুকে এ জন্য দায়ী করা হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সারা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। রোগটি প্রাণঘাতী বলেও প্রমাণ মিলেছে। বিশেষ করে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুর হার থাকার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। গত মাসেই নরসিংদীতে এ রোগে আক্রান্ত একই বাড়ির চারজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে অনেকটা নতুন বলে চিকিৎসকদের মধ্যে এ রোগ সম্পর্কে ধারণা নাও থাকতে পারে। এ কারণেই জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের উচিত হবে লেপ্টোস্পাইরোসিস পরীক্ষা করা। আর সময়মতো যদি এ রোগ ধরা যায়, তবে নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে এর সহজ চিকিৎসাও আছে। জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে আমাদের আশঙ্কা বাংলাদেশে লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগটির প্রকোপ আছে। সাধারণত ইঁদুরের মূত্র থেকে এ জীবাণু ছড়ায়। আবার গৃহপালিত অন্যান্য প্রাণীর মূত্র থেকে এটা হতে পারে। উপসর্গগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা, চোখ লাল, বমি, জন্ডিসের মতো সমস্যা দেখা যায়। আর একপর্যায়ে কিডনি ও লিভারকে অকার্যকর করে দিয়ে রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। ড. মাহামুদুর রহমান জানান, এ রোগের প্রাদুর্ভাব যে বাংলাদেশে আছে তা আগে ধরা যায়নি। তবে কোথাও কোথাও দু-একটা ধরা পড়ার পর গত ২০ মাসে সারা দেশের ১০টি হাসপাতালে রোগীদের ওপর এক পরীক্ষা চালিয়ে পাওয়া ফলাফল রীতিমতো উদ্বেগজনক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ হাসপাতালে গত ২০ মাসে সন্দেহজনক ২১২ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষার পর ২৫ জনকে লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগী বলে শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়া একই প্রক্রিয়ায় একই সময়ের মধ্যে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ২৪ জন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২০ জন, নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ২১ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১৩ জন করে, কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিআইটিআইডি হাসপাতালে ৯ জন করে, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আটজন এবং নওগাঁয় ছয়জনের রক্তে লেপ্টোস্পাইরা জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘আমরা গত মাসে নরসিংদীর একটি বাড়িতে চারজন লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগীর সন্ধান পেয়ে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু ঘটে।’ খাদ্যবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ এদিকে গতকাল রবিবার আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে খাদ্যবাহিত রোগ নিরীক্ষণ কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এক অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়েছে, দেশে খাদ্যবাহিত রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে কলেরা, সিগেলা, ই-কোলি ও হেপাটাইটিসের সংক্রমণের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। আর কলেরা পরিস্থিতির দিক থেকে নাজুক পর্যায়ে রয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল। আবার ঢাকায় বেশি সংক্রমণ টাইফয়েড ও ই-কোলি। হেপাটাইটিসের সংক্রমণের দিক থেকেও চট্টগ্রাম ও সিলেট অন্য এলাকার চেয়ে ওপরে রয়েছে। দেশের ১০টি হাসপাতালের রোগীদের রক্ত ও পায়খানার নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। অনুষ্ঠানে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখন বড় সতর্কতা প্রয়োজন খাদ্যবাহিত জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে। বিশেষ করে অনিরাপদ পানি আমাদের প্রধান উদ্বেগের কারণ। কেননা পানির মাধ্যমেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খাবারে জীবাণু প্রবেশ করে।’ উৎসঃ কালের কণ্ঠ প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ইরানে ড্রোন প্রদর্শনী, রয়েছে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোনও Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক ইরানে ড্রোন প্রদর্শনী, রয়েছে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোনও 01 Oct, 2016 ইরানে শুরু হয়েছে পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন প্রদর্শনী। এতে নিজেদের তৈরি ড্রোন ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সময় আটককৃত বিদেশি ড্রোনগুলো। এছাড়া রয়েছে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোনও। শনিবার এ ড্রোন প্রদর্শনী শুরু হয়। বিশেষকরে আমেরিকার অত্যাধুনিক ড্রোন এমকিউ-১ সি রাখা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই ড্রোনটি কবে কিভাবে ইরান আটক করেছে এ বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য আগে প্রকাশিত হয়নি। ফলে প্রদর্শনীতে এ ড্রোন দেখে দর্শণার্থীরা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এমকিউ-১ সি ড্রোন আটকের মাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষার শক্তির সক্ষমতা ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন সময় আটককৃত বিদেশি ড্রোনগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইরান যেসব ড্রোন তৈরি করেছে প্রদর্শনীতে সেগুলোও স্থান পেয়েছে। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আরকিউ-১৭০ মডেলের চালকবিহীন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়লে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট এটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। পরে দূর নিয়ন্ত্রণের সাহায্যে ড্রোনটি অক্ষত অবস্থায় মাটিতে নামিয়ে আনে ইরান। ইরানি বিজ্ঞানীরা এই ড্রোনের নির্মাণ কৌশল উদ্ধার করে। এছাড়া, আটক মার্কিন পাইলটবিহীন গোয়েন্দা বিমান ‘স্ক্যানঈগলে’র গণ উৎপাদন শুরু করে ইরান। এই প্রদর্শনীতে ওই দুটি ড্রোনও প্রদর্শন করা হয়েছে। স্মাট ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোনের নাম দেয়া হয়েছে সায়েকে বা বজ্রপাত। ড্রোনটি চারটি লক্ষ্যবস্তুতে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টিও দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটি দূর পাল্লার ড্রোন এবং তা আমেরিকার আটককৃত ড্রোন আরকিউ-১৭০'র ইরানি ভার্সন বলে জানিয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। আইআরজিসি'র ড্রোন প্রদর্শনীতে এটি রাখা হয়েছে। ইরান এ পর্যন্ত বহু অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরি করেছে। গত জানুয়ারিতে পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজের ওপর দিয়ে ইরানের চালকবিহীন বিমান ড্রোন উড়ে যায়। উৎসঃ rtnn প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন 09 October 2016, Sunday বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব। তবে এই অমূল্য বস্তুও কখনো কখনো আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। যদি আপনার জীবনে সঠিক মানুষটি বন্ধু হয়ে না আসে তবে আপনার জীবন মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। আপনি মানসিক রোগীতেও পরিণত হতে পারেন। তাই বন্ধু নির্বাচনের সময় সতর্ক হোন। কাকে বন্ধু বানাচ্ছেন তা বানানোর আগে হাজারবার ভাবুন এর পরে হাতটি বাড়ান। নিজস্ব সত্ত্বায় অটল থাকুন আপনার নিজের কিছু ভালোলাগা খারাপলাগা আছে। আপনি হয়তো বন্ধুর জন্য অনেক কিছুই বিসর্জন দিয়েছেন এবং দেয়ার মনমানসিকতাও তৈরি করে রেখেছেন। তবে সেও যে আপনার জন্য একইরকম ভাবে চিন্তা করে তার কী প্রমাণ আছে আপনার কাছে। আর আপনি যখনই এমন কাছের বন্ধুর থেকে ধোঁকা খান, আপনি ভেঙ্গে পড়েন। তাই নতুনভাবে বন্ধু নির্বাচনের সময় এই ব্যপারগুলো মাথায় রাখুন। যাতে আপনার নিজস্ব স্বত্বা সব সময় অটুট থাকে। একে খুব সহজে বিলীন হতে দেবেন না। পরিচিতি আগে গড়ুন হুট করে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু যেমন টিকে থাকে না ঠিক বন্ধুত্বও টেকে না। তাই কারো সাথে দু-চার দিনের পরিচয়েই বন্ধুত্ব করবেন না। তাকে আগে চিনুন তার সাথে সময় কাটান, দেখুন সে আপনাকে কেমন বুঝছে আপনি তাকে কেমন বুঝছেন এবং একে অন্যর বিপদে কেমন আচরণ করছেন। কতটুকু সাহায্য করছেন। এসব দেখেশুনে তবেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ান। প্রযুক্তির ব্যবহার প্রযুক্তি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রতিদিন আমাদের কতশত মানুষদের সাথে পরিচয় হয় এই প্রযুক্তির বদৌলতে। আর একটা সময় তাদের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে সৃষ্টি হয়ে যায় এক বন্ধুত্বের সম্পর্কে। তাই এসব ক্ষেত্রে একটু সজাগ থাকুন। দেখেশুনে পা বাড়ান। যাতে ভুল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব না হয়। মুক্তমনা মনের মাঝে কথা লুকিয়ে রাখে এমন মানুষ থেকে হাজার হাত দূরে থাকুন। কারণ এদের মনে এবং মস্তিস্কে কী ঘুরতে থাকে কেউ বলতে পারে না। তাই এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো আপনার জন্য। বন্ধুত্ব গড়ুন তার সাথেই যে মন খুলে আপনার সঙ্গে মিশতে পারে। আপনাকে তার সব কথা বলতে পারে। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:‘মামলা থেকে বাঁচতে’ কর্মীদের নিয়ে জামায়াত নেতা আ. লীগে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> রাজনীতি ‘মামলা থেকে বাঁচতে’ কর্মীদের নিয়ে জামায়াত নেতা আ. লীগে 01 Oct, 2016 নাশকতার একাধিক মামলার আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জামায়াতের এক প্রভাবশালী নেতা বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগের যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন বিএনপিরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। সদর আসনের সংসদ সদস্যের হাতে ফুল দিয়ে তারা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন। জামায়াত নেতাকে দলে নেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত দলকে ধ্বংস করবে-এমন প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন এক নেতা। শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের হাতে ফুল দিয়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মোট পাঁচশ রাজনৈতিক কর্মী। এদের মধ্যে অন্যতম জামায়াত নেতা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব আলী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে যে কয়টি জেলায় জামায়াত নজিরবিহীন নাশকতা করেছিল তার একটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দলের নেতা-কর্মীদের চোরাগুপ্তা বা প্রকাশ্য হামলার কারণে ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল কোণঠাসা। সন্ত্রাসের কারণে পালিয়ে থাকতে হয়েছে অনেককেই। এই সন্ত্রাস ও নাশকতায় মদদ দেয়া ও অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও সে সময় জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে নাশকতায়। একাধিক মামলা এখনও চলছে তার বিরুদ্ধে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল মাহমুদ খান খান্নার সভাপতিত্বে যোগদান সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আফরোজ জুলমাত, সদ্য যোগদানকারী বিএনপি নেতা মসিদুল হক মাসুদও। বক্তব্যে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া জামায়াত ও বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, তারা এখন থেকে সবাই একসঙ্গে থাকতে চান। তাই তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। মামলা থেকে অব্যাহতির আশায় জামায়াত-বিএনপির নেতারা যোগদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে আসা সোহরাব আলীর কাছে দলত্যাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতদিন আমি দায়িত্ব পালন (উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের) করতে পারিনি। আশা করি এখন থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবো। মামলা থেকে অব্যাহতি পাবো। এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগে জামায়াত ও বিএনপি থেকে যোগ দেয়া একাধিক নেতা-কর্মী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি এখন কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নেয়া দূরের কথা, মামলার কারণে প্রকাশ্যে থাকাই দায় হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগে যোগদানকেই সমাধান হিসেবে দেখেছেন তারা। একজন নেতা বলেন, ‘মামলার কারণে আমি আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছিলাম। কিন্তু কতদিন লুকিয়ে থাকা যায়? প্রকাশ্যে আসার পথ খুঁজছিলাম। এই সুযোগে চলে আসলাম।’ আওয়ামী লীগে আসা বিএনপি-জামায়াত কর্মী ও নেতারা তাদের রাজনীতি ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যের কথা জানালেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ একে দেখছেন অন্য দৃষ্টিতে। তিনি নতুন কর্মীদেরকে স্বাগত জানিয়ে দলের কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘যারা দলে নতুন যোগ দিয়েছেন, তারা এমনভাবে দলের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন যেন আগামীতে আপনাদেরকে দলে পদ দেয়া যায়।’ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগে প্রকাশ্য ক্ষোভ স্থানীয় সংসদ সদস্য জামায়াত ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মী নিয়ে আসায় দলের একাংশের নেতারা প্রকাশ্যেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তারা স্বাধীনতাবিরোধী, সম্প্রদায়িক শক্তি। সাম্প্রতিক সময়েও তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের চেতনা কখনও পরিবর্তন হবে না। তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করবে।’ ঢাকাটাইমস প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 18 Sep, 2016 নির্বাচনে মনোযোগ বিএনপির 04 Mar, 2016 দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা : চুম্বক অংশ ১ 31 Oct, 2015 সমশের মবিনের পদত্যাগের পেছনে সম্ভাব্য ১০টি কারণ 30 Oct, 2015 অবসরে শমসের মবিন চৌধুরী: চাপে না ভয়ে? 29 Oct, 2015 প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন ৪ কূটনীতিক 28 Oct, 2015 ভিডিও >> বিদেশি খুনের পেছনে বিএনপি নেতা কাইয়ুম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 28 Oct, 2015 বিমান ছিনতাই 27 Oct, 2015 ভারত থেকে লন্ডনের পথে বড় ভাই 27 Oct, 2015 উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আ.লীগ 27 Oct, 2015 লন্ডনে বিএনপির সমাবেশ বাতিল : সহসা ফিরছেন না খালেদা জিয়া 26 Oct, 2015 হঠাৎ অস্থিরতা চারদিকে 26 Oct, 2015 দেশজুড়ে ধরপাকড় 22 Oct, 2015 ধানের শীষ না পেলে স্বতন্ত্র দাঁড়াবে জামায়াত 20 Oct, 2015 কী হচ্ছে বিএনপি অফিসে 14 Oct, 2015 ডিসেম্বরে মুখোমুখি দুই দল 14 Oct, 2015 লন্ডনে বেগম জিয়ার দিনলিপি 12 Oct, 2015 ‘গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ 12 Oct, 2015 ‘ছাত্রদলের ঘুরে দাঁড়াতে ২৪ ঘণ্টার বেশী সময় লাগবে না’ 12 Oct, 2015 ভারমুক্ত হচ্ছেন মির্জা ফখরুল 12 Oct, 2015 অসুস্থ না নিরাপত্তা? 09 Oct, 2015 বিএনপির একশ ভুল 04 Oct, 2015 চাপে পড়েছে সরকার 04 Oct, 2015 বিএনপি মুখপাত্রের ভূমিকায় বিব্রত হাইকমান্ড 16 Sep, 2015 লন্ডনে খালেদা জিয়া অতঃপর... 08 Sep, 2015 সরকারকে চালাচ্ছে একটি বিশেষ শ্রেণি 06 Sep, 2015 মধ্যবর্তী নির্বাচন এড়াতে কৌশলী সরকার 05 Sep, 2015 ক্ষমতার ভাগাভাগিতে এমপি বনাম এমপি! 05 Sep, 2015 পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগে 31 Aug, 2015 শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 30 Aug, 2015 গোয়েন্দা নজরদারিতে শাসকদল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 22 Apr, 2016 সরকারি-বেসরকারি অনুদানের অর্থেই মূলত বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা ও বিস্তৃতি। প্রতি বছরই সরকারের পক্ষ থেকে বড় অঙ্কের অনুদান দেয়া হয় হাসপাতালটিতে। অনুদান আসে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকেও। মেডিকেল যন্ত্রপাতি আমদানিতেও পেয়ে থাকে শুল্ক সুবিধা। এসবই করা সেবামূলক উদ্দেশ্যে। কিন্তু হাসপাতালটির অভ্যন্তরীণ একটি পক্ষের কারণে মূল উদ্দেশ্য থেকে অনেকটাই সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেবামূলক থেকে বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল। সেবা নিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের মতোই মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে এখানকার রোগীদের। গত সোমবার সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছেন রাজধানীর মাণ্ডা এলাকার বাসিন্দা আক্তার হোসেন। চিকিত্সকের সাক্ষাত্ পেতে তাকে পরিশোধ করতে হয় ৬০০ টাকা। চিকিত্সক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে তাতেও মোটা অঙ্কের ফি গুনতে হয় তাকে। দীর্ঘদিন ধরে বারডেম হাসপাতালের সেবা নিয়ে আসছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা নাজমুল আলম। তিনি জানান, এক বছর আগেও এখানে ৫০ টাকা ফি দিয়ে আউটডোর সেবা পাওয়া যেত। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এটা শুধু সাধারণ চিকিত্সকদের সেবার জন্য নেয়া হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সেবা পেতে ফি দিতে হয় আরো বেশি। সবচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের। গত শনিবার বারডেম হাসপাতালে ডায়বেটিস আক্রান্ত স্ত্রীকে ভর্তি করান রাজধানীর গোড়ান এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা। এজন্য ভর্তির শুরুতে ১৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে তাকে। এছাড়া ডাবল কেবিনে অবস্থান করায় এ রোগীকে গুনতে হচ্ছে দৈনিক ২ হাজার ৪০০ টাকা। যদিও এ কেবিনে রয়েছে ছারপোকার উত্পাত। বারডেমের মতো একটি কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সেবার এমন উচ্চমূল্য কাম্য নয় বলে মনে করছেন রোগীরা। অনেকে জানান, সরকারি-বেসরকারি অনুদান পেয়ে এলেও সেবার মূল্য ঠিকই অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের মতোই নিচ্ছে বারডেম কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্লাড গ্লুকোজ পরীক্ষার জন্য ফি নেয়া হয় ১৫০ টাকা। একই রকম ফি নেয়া হয় বারডেম হাসপাতালেও। পপুলার হাসপাতালে এ ফি ১৮০ টাকা। তবে বেসরকারি পপুলার ও মেডিনোভায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০-৪০ শতাংশ কমিশন পাওয়া গেলেও বারডেমে সে সুযোগ নেই। পপুলার হাসপাতালে শয্যা ভাড়া দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টাকা। সমপরিমাণ অর্থ গুনতে হয় বারডেমেও। দৈনিক কেবিন ভাড়া বাবদ দিতে হয় ২ হাজার ৪০০ থেকে ৭ হাজার টাকা। পপুলার হাসপাতালেও শয্যাপ্রতি ১ হাজার ৫০০ এবং কেবিনে ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে সব রোগীর কাছ থেকে একই হারে ফি নেয়া হয় না বলে জানায় বারডেম কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের হাসপাতালে চার ধরনের রোগীকে বিভিন্ন সুযোগে সেবা দেয়া হয়। সমাজকল্যাণ কমিটির কার্ডধারী রোগীদের কেউ কেউ সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সেবা পান। আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কেউ ২৫ শতাংশ, কেউ ৫০ শতাংশ, কেউবা ৭৫ শতাংশ ছাড়ে সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া ৩০ শতাংশ বিনামূল্যের শয্যা রয়েছে, যাদের পুরো চিকিত্সাসেবাই ফ্রি দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কর্মরতরা ও তাদের পরিবার বিনামূল্যে সেবা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতির পরিচালক (গণমাধ্যম) ফরিদ কবির এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, হাসপাতালে আসা প্রত্যেক রোগীকে ১০০ টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন করানো হচ্ছে। যদিও রোগীর জন্য চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্যশিক্ষার পরামর্শ, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষাসহ ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রত্যেক রোগীর পেছনে তারা ১ হাজার ২০০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেন। এসব সুবিধা দিতে গিয়ে প্রতি বছর ৩০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ভর্তুকি দিচ্ছে বলে দাবি করলেও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদনচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। সংস্থাটির ২০১৪-১৫ অর্থবছরের আর্থিক চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই বছর সমিতি আয় করেছে ৩৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৩৮০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ফলে উদ্বৃত্ত ছিল ১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ওই বছর শুধু বারডেমেরই আয় ছিল ১৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর ব্যয় ১৪২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বারডেম হাসপাতালটি সরকারি জমিতে নির্মিত। সেগুনবাগিচার হাসপাতালটিও মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর বারডেম হাসপাতালের জন্য ২৫ কোটি টাকা সরকার অনুদান দেয়। এছাড়া বেসরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তি এখানে অনুদান দিয়ে থাকেন। রাজধানীর গুলশান এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কয়েক বছর আগে বারডেম হাসপাতালে প্রায় কোটি টাকায় একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স অনুদান দেন। এছাড়া তিনি তার পুরান ঢাকার ওয়ারীতে একটি আটতলা বাড়ি ডায়াবেটিক সমিতিকে দান করেন। সেখানে বর্তমানে ডায়বেটিক সমিতির একটি হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। বারডেম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল হক মল্লিক বলেন, সরকার প্রতি বছর ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিলেও তা থেকে ১৬ কোটি টাকা তাদের হাসপাতাল পেয়ে থাকে। অবশিষ্ট টাকা ডায়বেটিক সমিতির অন্যান্য হাসপাতালে ব্যয় হয়। বর্তমানে বেসরকারি অনুদানও কমে এসেছে। এছাড়া তাদের সমাজকল্যাণ কমিটির অধীনে ৬৯ হাজার কার্ডধারী রোগী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন ধরনের সহজ সেবা পেয়ে থাকেন। ফি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে একটু বেশি হলেও উন্নত সেবার কারণে এ হাসপাতালে সার্বক্ষণিক রোগীর ভিড় থাকে। ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স নির্মাণের জন্য শহীদ খালেক-মেজর সালেক বীর উত্তম ট্রাস্ট থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। এছাড়া অনুদান হিসেবে সংস্থাটিকে ইসমাইল ফ্যামিলি চ্যারিটেবল ফান্ড দিয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ১৫২ টাকা। ইনসুলিন অনুদান পাওয়া গেছে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশন থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ ২৮ হাজার ৫৭৬ টাকার। নভোনরডিক্স ফার্মা অনুদান দিয়েছে ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ধরনের বহু প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় অনুদান দিয়েছে হাসপাতালটিকে। দাতাদের তালিকায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো আছে— ইউনিয়ন গ্রুপ, রোটারি ক্লাব অব মেট্রোপলিটন, পদ্মা প্রিন্টার্স, আয়েশা জাকি আমীন ট্রাস্ট, নূরুল আমিন, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, অপসোনিন ফার্মা, ইউনিক গ্রুপ, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী প্রমুখ। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির চিফ কো-অর্ডিনেটর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বারডেম হাসপাতাল তৈরির সময় স্বল্পমূল্যে রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য নিয়ম-কানুন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালের কলেবর বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে খরচও। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি বেতন কাঠামো অনুসরণ করতে গিয়ে বিশাল অঙ্কের ব্যয় বেড়ে গেছে। কার্ডিয়াক ও মেডিকেল কলেজে আয় হলেও মিরপুরে হাসপাতাল করতে গিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। ডায়াবেটিক সমিতির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বারডেমে গরিব রোগীদের চিকিত্সায় ব্যয় করা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিলের যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব। তিনি বলেন, সরকারের অনুদান সীমিত। অথচ এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা শতভাগ সরকারি স্কেলে দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুদান এলেও তারা নগদ অর্থ না দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিংবা ভবন নির্মাণসামগ্রী প্রদান করছেন। ৩০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিত্সার ব্যয় মেটাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয়েছে। মুনাফার টাকা কেউ ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেন না। উল্লেখ্য, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৬০ বছর আগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম। শুরু থেকেই তার এ মহতী উদ্যোগে শামিল হন চিকিত্সক, সমাজকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর শাহবাগে গড়ে ওঠে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল। উৎসঃ বনিক বার্তা প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সংসদে স্থান পেয়েছেন ১১ জন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সংসদে স্থান পেয়েছেন ১১ জন 01 Oct, 2016 তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সংসদে স্থান পেয়েছেন ১১ জনশহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক উদ্ভাবিত স্বাধীন বাংলার গণ-মানুষের আর্থ-রাজনৈতিক মুক্তির অনবদ্য দলিল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র, স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মান-এর কালজয়ী দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে উদ্ভাবনশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গঠিত আগামীর বাংলাদেশের অগ্রসরমান প্রজন্মের জ্ঞানভিািত্তক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম, বিএনপি’র গবেষণাধর্মী সৃজনশীল সহায়ক শক্তি ‘তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংসদে স্থান পেয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম,সিলেট, বরগুনা, যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের ১১ নেতা। তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান চেšধুরীর পরামর্শক্রমে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে এক নোটিশ-এর মাধ্যমে উক্ত ষোষণা অনুমোদন করেছেন। ‘তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংসদের চলমান পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামের সন্তান কামরুল ইসলাম। তাছাড়া নতুনভাবে আরো তিন জন সহ-সভাপতি হয়েছেন- যুক্তরাজ্য প্রবাসী লন্ডন বিএনপি’র সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বরিশাল বরগুনার কৃতি সন্তান মাওলানা শামীম আহমেদ, শাহীন চৌধুরী পাশা, কাজি মোঃ আবু জাফর। গবেষণা কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছেন- লন্ডন বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা আক্তার শিমলা, বৈশ্বিক মানব-সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন- যুক্তরাজ্য প্রবাসী, লন্ডন মহিলাদলের নেত্রী বন্যা আহমেদ, গবেষণা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাশাপাশী ঢাকা বিভাগীয় আহ্বায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রাহেলা হক রঞ্জু , গণ-যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলম, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছেন- দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এয়াড়াও নির্বাহী সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন- সৌদি আরব দাম্মাম প্রদেশ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম রিপন। তাছাড়া, আলী হায়দার মজনুকে গবেষণা কেন্দ্রের সিলেট বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। পাশাপাশী, গবেষণা কেন্দ্রের সিলেট জেলা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আহাদ চৌধুরীকে। উৎসঃ bdsangbad প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 03 Feb, 2016 রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিতে গিয়ে পাঁচ রোগী চোখ হারিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জামালপুরের হনুফা বেগম, নারায়ণগঞ্জের আলো বেগম, মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিনা বেগম, মিরপুরের আলেয়া বেগমসহ পাঁচ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তারা আর চোখে দেখতে পাননি। রোগী ও স্বজনরা এ ঘটনার জন্য চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসাকে দায়ী করেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখেনি। শুধু চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট নয়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়ের হাসপাতালেই এভাবে ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। অনেকে চিরতরে প্রতিবন্ধী হচ্ছেন, আবার অনেকে মৃত্যুবরণও করছেন। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ও প্রতিবন্ধী হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধর, মামলা দায়ের, হাসপাতালে ভাংচুর এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম ঘটেছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনেও ভুল চিকিৎসায় রোগীর প্রতিবন্ধিত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। চির প্রতিবন্ধিত্বের শীর্ষ পাঁচটি কারণের মধ্যে ভুল চিকিৎসা একটি প্রধান কারণ। বিবিএস জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৩ শতাংশ ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধিত্ববরণ করেছেন। প্রতিবেদনে সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো_ গত দুই বছরের ব্যবধানে দেশে ভুল চিকিৎসার হার বেড়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক সূচকের তথ্য বিবিএস সংগ্রহ করে থাকে। এ জরিপের জন্য ১৯৮০ সাল থেকে ১০টি খাতের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সর্বশেষ জরিপে নমুনার সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বছরব্যাপী প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিবিএস। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের এক হাজার মানুষের মধ্যে নয়জন প্রতিবন্ধী। এর ৩ শতাংশ ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে চিরতরে প্রতিবন্ধী হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা। শহরের সাড়ে ৩ শতাংশ ও গ্রামের ৩ শতাংশ নারী ভুল চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০১২ সালে বিবিএস ভুল চিকিৎসা বিষয়ে প্রথম তথ্য সংগ্রহ করে। ওই বছর ভুল চিকিৎসার কারণে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্তের হার ছিল আড়াই শতাংশ। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মগত কারণে ৫০ শতাংশ, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ, অসুস্থতার কারণে ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী হচ্ছে। এর বাইরে বার্ধক্যজনিত কারণে ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধী হওয়া মানুষের মধ্যে ৭ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত। বিভাগ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী হওয়া মানুষের হিসাবও করেছে বিবিএস। সংস্থাটির হিসাবে এক হাজার মানুষের মধ্যে বরিশালে ৯, চট্টগ্রামে ৯, ঢাকায় ৮, খুলনায় ১০, রাজশাহীতে ১০, রংপুরে ১২ ও সিলেটে ৮ জন ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে চিরতরে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন। বিবিএসের মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশের (এমএসভিএসবি) প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক সমকালকে বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় মানুষ কেন পঙ্গুত্ব এবং প্রতিবন্ধী হচ্ছে, তার কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মানুষের শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়ার অন্যতম কারণ ভুল চিকিৎসা। এ কারণে কেউ কেউ চিরদিনের মতো অন্ধ, বধির, বিছানা থেকে উঠতে না পারা, খাওয়াসহ ব্যক্তিগত কাজে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী কয়েকজন রোগী ও স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অভিযোগ করেও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগ করার পর তদন্ত কমিটি করা হয়। কোনো কোনো সময় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় না। আবার তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও তাতে চিকিৎসকদের নির্দোষ বলে দেখানো হয়। ভুক্তভোগীদের ধারণা, চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়, তারাও চিকিৎসক। এ কারণে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি আবদুর রহিম খান ২০১২ সালের নভেম্বরে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চোখের ছানি অপারেশন করতে যান। অপারেশনের পর তার এক চোখ অন্ধ হয়ে যায়। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে আবদুর রহিম খান চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্র্দেশে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়। পাঁচ সদস্যের কমিটি ছয় মাস তদন্ত করে চিকিৎসককে নির্দোষ বলে ঘোষণা দেয়। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চিকিৎসকদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) যথাযথভাবে অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আদালতেও মামলা করতে পারেন। বিএমডিসিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিএমডিসি মাত্র তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর বাইরে আর কেউ বিএমডিসিতে অভিযোগ করে প্রতিকার পাননি। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে শত শত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরও কেন অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না_ এমন প্রশ্নের জবাবে বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া সমকালকে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় দায়ের না হওয়ায় বেশিরভাগ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। অভিযোগে অসম্পূর্ণতা থাকলে তা তদন্ত করে দেখার সুযোগ থাকে না। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, বিবিএসের জরিপ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশের একজন চিকিৎসককে দিনে ১২০ জনের বেশি রোগীকে সেবা দিতে হয়। বিশ্বের কোথাও এত রোগী দেখার ইতিহাস নেই। এ কারণে চিকিৎসায় ভুলের অভিযোগ উঠতে পারে। তবে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বেশি মামলা হলে তারা ঝুঁকি নিতে চাইবেন না বলে মনে করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব সমকালকে বলেন, বিবিএসের ওই জরিপ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কোন প্রক্রিয়ায় জরিপকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা সরাসরি ভুল চিকিৎসায় রোগী প্রতিবন্ধী হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কিসের ভিত্তিতে তারা এটি দাবি করেছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত। ডা. রশিদ-ই মাহবুব আরও বলেন, বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে যত মামলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ফৌজদারি আইনে করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সিভিল কোর্টে মামলা হয়। এতে রোগীরাও ক্ষতিপূরণ পান। তাই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ফৌজদারি, না সিভিল কোর্টে মামলা করবেন_ তা নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। বিশিষ্ট আইনজীবী শাহ্দীন মালিক সমকালকে বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও আইনজীবীদের অজ্ঞতা এবং ভুক্তভোগী রোগীর আত্মীয়স্বজনের প্রতিহিংসার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। ভুল চিকিৎসার কারণে দুনিয়াব্যাপী ক্ষতিপূরণের মামলা হয়। দেশে ভুলের কারণে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হলে চিকিৎসকরা রোগীর প্রতি অবহেলা করার সাহস পাবেন না। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি মনজিল মোরসেদ সমকালকে বলেন, চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে ভুক্তভোগীর মামলা করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ এবং ফৌজদারি দুই ধরনের মামলা করার সুযোগ রয়েছে। তবে অনেকে বিষয়টি জানেন না। এ কারণে ভুল চিকিৎসা দিয়েও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। উৎসঃ samakal প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ফিচার Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার খাওয়ার পর একটু হাঁটার সুফল 20 October 2016, Thursday খাওয়ার পর একটু হাঁটা ভালো।খাওয়ার পর একটু হাঁটা ভালো, এ কথা সবাই জানেন। এ বিষয়ই এবার নিশ্চিত করলেন নিউজিল্যান্ডের গবেষকেরা। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা খাওয়ার পর অবশ্যই একটু হাঁটবেন। এতে রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে সুফল বয়ে আনে। তাঁরা বলেন, দিনের যেকোনো সময় ৩০ মিনিট হাঁটার চেয়ে রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে খাওয়ার পর একটু হাঁটা ভালো। ‘ডায়াবেটোলোজিয়া’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষণা প্রবন্ধের লেখক অ্যান্ড্রু রেনল্ড বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয় বিস্তারিত >> শিরোনাম চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর কোথায় লাগাবেন পারফিউম পানির রাজ্যে পাহাড়ের বুদ্ধ... 17 October 2016, Monday সৌম্য অবয়ব। নিবিষ্ট মনে স্থির দাঁড়ানো এক প্রতিমূর্তি তার। বহুদূর থেকেই পাহাড়ের ভাজে অল্প ফাঁক দিয়েই চোখে পড়ে তার সোনালী মূর্তির উন্নত শির। চারদিকে বিস্তীর্ণ বিস্তারিত >> জিন্সকে করে তুলুন ব্র্যান্ড নিউ! 17 October 2016, Monday জিন্স সকলেই পরেন। কিন্তু এক শেডের জিন্স আর কতবার পরা যেতে পারে। এক বছর একটা শেড ফ্যাশনে ইন থাকলে, পরের বছরই তা আবার আউট ডেটেড হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে জিন্স বিস্তারিত >> উৎসব শেষে কাজে মন ফেরাবেন যেভাবে 13 October 2016, Thursday উৎসবের দেশ বাংলাদেশ। এখানে বারো মাসই কোনো না কোনো উৎসব পালিত হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘোষিত হয় সরকারি ছুটিও। ফলে সবাই কর্মস্থল ফেলে ছুটে চলেন উৎসব পালন করতে। উৎসব বিস্তারিত >> নেতিবাচক চিন্তা থাকুক দূরে 12 October 2016, Wednesday রোজ ঘুম থেকে উঠলেই ঘিরে ধরে একগাদা হিজিবিজি চিন্তা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তো বটেই। সেগুলোর বেশিরভাগই নেতিবাচক। ভেবে সুরাহা কিছু হয় না। উল্টে শরীরের বারোটা। ঝেড়ে বিস্তারিত >> আপেল রাজ্যে একদিন 08 October 2016, Saturday গ্রিক, রোমান, নর্স পৌরাণিক ও লোক কাহিনিতে আপেলের নাম পাওয়া যায় অমরত্বের ফল হিসাবে। বলা হয় দেবদেবীদের ফল। আবার নিষিদ্ধ ফল হিসেবেও আপেলের নাম শোনা যায়। আদ বিস্তারিত >> মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ রাখার উপায় 05 October 2016, Wednesday অফিস, পড়াশোনা, ঘরের কাজ, পরিবারের চিন্তা এইরকম হাজারো কাজের চাপ নেয় আমাদের মস্তিষ্ক। নানান রকমের স্ট্রেসে থাকতে থাকতে কখন যেন ভোঁতা হয়ে যায় আমাদের মস্তিষ্ক বিস্তারিত >> সফলদের ৬ কৌশল, যা তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছে 03 October 2016, Monday ১. হাসি যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনার মুখভঙ্গি। সব মানুষই তার উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে অন্যের কাছে তুলে ধরতে চায়। সদ্য পরিচিতের কাছে বিস্তারিত >> কিভাবে বুঝবেন পরকীয়ায় মজেছে আপনার সঙ্গী! 17 October 2016, Monday সম্পর্কে সৎ থাকা, সঙ্গীর বিশ্বাস ধরে রাখা যেকোন সম্পর্কের প্রথম আর প্রধান শর্ত। কিন্তু অনেক সময়ই এই বিশ্বাস ভেঙ্গে অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখা যায় না বিস্তারিত >> আপনার আয়ু নির্ভর করে পিতামাতার আয়ুর ওপর! 16 October 2016, Sunday আপনার বাবা-মা কতদিন বেঁচে ছিলেন সে সংখ্যা থেকে আপনি কতদিন বাঁচবেন, তার একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত পাওয়া যায়! সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফলে এমনটাই জানানো হয় বিস্তারিত >> এবার একসঙ্গে ২০ দেশের খাবার 13 October 2016, Thursday মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ফুড জংশন দেখা যায়। যেখানে বিশ্বের নানা দেশের খাবার মেলে এক ছাদের নিচেই। ঠিক সেরকমই বাংলাদেশে প্ বিস্তারিত >> বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন 09 October 2016, Sunday বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব। তবে এই অমূল্য বস্তুও কখনো কখনো আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। যদি আপনার জীবনে সঠিক মানুষটি বন্ধু হয়ে না আসে তবে আপনার জীবন মূল্যহীন বিস্তারিত >> এত্ত আরামের জেলখানা! 07 October 2016, Friday জেলখানার কথা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে পুরোনো দেয়াল, জনাকীর্ণ রুম, এবং ভয়ানক জীবনযাপনের কথা ভেসে উঠে। তাই না? কিন্তু নরওয়ের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত কারাগার ‘হালডেন’ এর বিস্তারিত >> অর্থ সঞ্চয় করার কিছু পদ্ধতি 04 October 2016, Tuesday ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করাটা খুবই জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোন কারণে অর্থের সমস্যা হলে, সঞ্চয় করা সেই অর্থ দিয়ে অসুবিধা দূর করা যায়। কিন্তু আমরা অন বিস্তারিত >> প্রজাপতির মতো, তবে প্রজাপতি নয় 02 October 2016, Sunday প্রজাপতির মতো অবিকল দেখতে! তবে প্রজাপতি নয়! এটি মথ। এর গঠন প্রকৃতি বা স্বভাব অনেকটা প্রজাপতির মতো। বুঝতে না পারলে এক দেখাতেই প্রজাপতিই মনে হবে। প্রজা বিস্তারিত >> বসকে যে ১০ কথা ভুলেও বলবেন না 17 October 2016, Monday কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত সব কথা বলা যাবে না। আর এ ক্ষেত্রে কর্মস্থলের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের একটি সীমারেখা সবারই মেনে চলা উচিত। একইভাবে আপনার বসকেও ব্যক্তিগত জীবন বিস্তারিত >> এখন আর কানে বাজে না দোয়েলের ডাক 15 October 2016, Saturday এক দশক আগেও ময়মনসিংহ শহরে ছিল জাতীয় পাখি দোয়েলের ঘন উপস্থিতি। বুক ফুলিয়ে গানের সুরে ডেকে বেড়াতো এরা। ক্রমশ এই শহরে বহুতল ভবন তথা নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জঙ্গল, গা বিস্তারিত >> অকাল মৌসুমে পদ্ম ফোটে ময়মনসিংহে 13 October 2016, Thursday এখন পদ্মফুলের মৌসুম না। কিন্তু ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার লাল মাটির পাহাড় এলাকার পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের বড়বিলা বিলে অকাল মৌসুমেও ফোটে পদ্মফুল। এই ফুল ব্যবহৃত হয় বিস্তারিত >> বাড়ছে আয়ু বাড়ছে রোগ, কোথায় যাচ্ছি আমরা? 08 October 2016, Saturday কম্প্রিহেনসিভ ওভারভিউ অব গ্লোবাল হেলথ এর রিপোর্টে বলা হয়, মানুষের আয়ু ১৯৮০ এর সময় থেকে অনেক বদলে গেছে। ২০১৫ সালে পুরুষের গড় জীবনকাল বেড়ে ৬৯ বছর এবং নারীর বিস্তারিত >> ধূমপায়ীর সন্তানের অ্যাজমার ঝুঁকি ৩ গুণ 05 October 2016, Wednesday কোনো ধূমপায়ীর সন্তান অধূমপায়ীর সন্তানের চেয়ে অ্যাজমা ঝুঁকিতে বেশি থাকে তিন গুণ। তা যদি ওই বাবা, সন্তানটি মায়ের গর্ভে আসার আগের ধূমপায়ী হন- তাতেও। নতুন একটি গবেষণায় বিস্তারিত >> এড়িয়ে চলুন ১০টি ক্যারিয়ার মিসটেক 03 October 2016, Monday চাকরিজীবনে সাফল্য আমরা সবাই চাই। কিন্তু অসচেতনভাবে প্রতিনিয়ত কিছু ভুল আমাদের ক্যারিয়ারকে পেছনে ফেলে দেয়। প্রতিযোগিতার সময়। সবাই আছে সুযোগের সন্ধানে। একটু অন্যমনস্ক হল বিস্তারিত >> ডেনিমের জাদু ! 02 October 2016, Sunday অনেককাল আগে উত্তর ইতালির কারখানার শ্রমিকরা এক ধরনের মোটা কাপড় পরা শুরু করেন । সেই নীল রঙের কাপড় ছিল বেজায় সস্তা, আরামদায়ক ও টেকসই । পরে জানা যায়, সেটা বিস্তারিত >> « পূর্ববর্তী পরবর্তী » Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 07 Aug, 2016 ক্যান্সার, হৃদরোগ, চোখে ছানি, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াসহ নানা অসংক্রামক রোগে এখন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সারা বিশ্বে এখন অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। আর এসবের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা রেডিয়েশনকে (তেজস্ক্রিয়তা) দায়ী করছেন। এক্স-রে, এমআরআইসহ নানা ধরনের মেডিক্যাল চেকআপ করাতে গিয়ে মানুষজন নিজের অজান্তেই শরীরে বয়ে নিয়ে আসছেন ঘাতক ব্যাধি বিশেষ। বিশেষ পোশাক আর প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তারাই রয়েছেন সবচেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে। বাংলাদেশ পারমাণবিক গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে এক্সরে ও সিটিস্ক্যান কক্ষের নির্মাণে নির্দেশনা থাকলেও সেটি কোথাও মানা হয় না যথাযথভাবে। রেডিয়েশন নির্গমনে কক্ষের দেওয়াল ১০ ইঞ্চি ও দরজায় লোহা বা তামার পাতের ব্যবস্থা রাখারও নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু মানা হয় না সেই নির্দেশনাও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ে এক্স-রে, এমআরআই, সিটিস্ক্যানসহ নানা পরীক্ষা এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। আর উচ্চমানের হাসপাতালগুলো ছাড়া দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ক্লিনিকে এক্স-রে, সিটিস্ক্যানের সময় নির্গত হওয়া রেডিয়েশন প্রতিরোধ করার কোনও ব্যবস্থাই নেই। আর এই রেডিয়েশন মানুষকে ক্ষতি করছে নানাভাবে। আধুনিক এমআরআই মেশিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখে দেখা না-যাওয়া এই রেডিয়েশন এক্স-রে বা সিটিস্ক্যান কক্ষের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার শরীরে প্রবেশ করলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার কোনও কারণে যদি কেউ নিয়মিত বা ঘন ঘন এক্সরে করেন, তার শরীরে রেডিয়েশন প্রবেশ করে চোখে ছানিপড়া, ক্যান্সার, গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব, মাথার চুল পড়ে যাওয়াসহ নানান জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। এমন কী গর্ভাবস্থায় এটি হলে গর্ভস্থ শিশু বিকলাঙ্গ কিংবা প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও জন্মগ্রহণ করার ঝুঁকিতে থাকে। নাম প্রকাশে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের একজন রেডিওগ্রাফার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। প্রয়োজনের তাগিদে কাজ করতে হয় কিন্তু মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন টেকনোলজিস্টের দিনে ১৫ থেকে ২০ বার এক্স-রে এক্সপোজ দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে দিনে তাদের ৮০ থেকে একশবারের ওপরে এক্সপোজ দিতে হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩০ জন রেডিওগ্রাফার শত শত মানুষকে নিয়ে কাজ করছেন। রেডিওগ্রাফারদের নিষেধ সত্তেও রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরা ঢোকেন এক্স-রে কক্ষে। তারা নিজেরাও জানেন না যে, নিজেদের অজান্তেই তারা শরীরে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন ঘাতক ব্যাধির লক্ষণ। তিনি বলেন, অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনে একজন রেডিওগ্রাফারকে দুইশবারেরও বেশি এক্স-রে এক্সপোজ দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রেডিওলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এএসকিউএম সাদেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিতে রেডিয়েশন থাকে এগুলো আমাদের জানতে হবে এবং মানতে হবে। তিনি বলেন, লন্ডনে এমনও রয়েছে এক্স-রে কক্ষে ঢোকার আগেই রেডিয়েশন লেভেল চেক করে দেখা হয়। আবার বের হওয়ার সময়ও চেক করা হয়। আমাদের দেশে তো সে রকম সম্ভব না। কিন্তু যতটুকু পারা যায়, সেটুকুই মানা উচিত। এক্সরে মেশিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাংলাদেশে যত ধরনের ক্যান্সার হয়, তার মধ্যে শতকরা এক ভাগ ক্যান্সার হয় এই ক্ষতিকারক রেডিয়েশনের কারণে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক এবং কর্মচারী মারাও গেছেন যারা রেডিওলজির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, আমরা এ শঙ্কাকে উড়িয়ে দিতে পারি না। রেডিওলজি বিভাগে যারা কাজ করছি, তারা শতভাগ ঝুঁকিতে রয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা হাই অ্যানার্জি রেডিয়েশনের মধ্যে কাজ করি এবং রেডিয়েশনের এখানে ভিন্ন ভিন্ন ফর্ম রয়েছে। দেশের সবগুলো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি অ্যান্ড রেডিওলজি বিভাগে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা এ জন্য একটি ঝুঁকি ভাতাও পেতেন বলে জানান অধ্যাপক মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, একটি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতায় পড়ে সেটিও গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এই ঝুঁকি ভাতা শিগগিরই ফের চালু করা উচিত। উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 29 Mar, 2016 মিনার রশিদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন এবং কারচুপি প্রতিরোধ করতে শেষ বুলেট থাকা পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন আহমদ। জাতির সাথে তার এই সর্বশেষ মশকারাটির ভাগ্যও আগেকার মশকারার মতোই হয়েছে। এবার ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশে এমন ‘সশস্ত্র নির্বাচন’ আর কখনোই হয়নি। গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে ‘দুর্বৃত্ততন্ত্র’কে এবার গ্রাম পর্যন্ত প্রসারিত করে ফেলা হয়েছে। তার পরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার লাজলজ্জার মাথা খেয়ে বলছেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে’। আগে ধারণা করা হয়েছিল, তাদের শুধু মেরুদণ্ড নেই। এখন তাদের ভেতরে গিলা, কলিজা কিছু আছে কি না তা নিয়েও অনেকের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা একজন ব্যক্তি এতটা অনুভূতিহীন ও ব্যক্তিত্বহীন হতে পারেন, তা ভাবতেও কষ্ট হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তা রিপেয়ার করা আর কোনো দিন সম্ভব হবে কি না জানি না। অনেকের শঙ্কা, ধীরে ধীরে দেশটিকে হয়তো উত্তর কোরিয়ার মতো বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়া অন্য কোনো রাষ্ট্রের তাঁবেদারি করে না, আবার সেখানে কোনো নির্বাচন নেই, গণতন্ত্রের নামগন্ধও নেই। আমাদের এখানে রকীব উদ্দিনের মতো সিইসি রয়েছেন। এরশাদ-রওশনের মতো বিরোধীদলীয় নেতানেত্রী রয়েছেন। এরশাদ তার নিজের পুরোটাই ‘ফর ইউর সার্ভিস’ দিয়ে রেখে মাঝে মধ্যে আফসোস করেন। দেশের বুদ্ধিজীবীমহল থেকে শুরু করে অনেকের অবস্থানই হুবহু তার মতো। বলার জন্য সবাই বলবেন, তবে এমন কিছু করবেন না, যাতে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হয়। শেষ বুলেটের এই হুঙ্কারটি সিইসি ছুড়েছিলেন একটি সংবাদ সম্মেলনে। দেশের মিডিয়াও কেমন যেন ‘করে নাকো ফোঁসফাস মারে নাকো ঢুঁসঢাস’ হয়ে পড়েছেন। সবার হয়তো মনে আছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এম এ আজিজের বিরুদ্ধে এই মিডিয়া কিভাবে উঠে পড়ে লেগেছিল। অথচ পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সৎ হিসেবে বিবেচিত ও স্বল্পভাষী (কথা তেমন গুছিয়ে বলতে পারতেন না) বিচারপতি এম এ আজিজ তখন পর্যন্ত কোনো অনিরপেক্ষতা প্রমাণের ঘটনা ঘটেনি। আজ এত কিছু হওয়ার পরও মিডিয়ার বড় অংশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। এই কঠিন সঙ্কটে যে মিডিয়া এ দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পারত, তাদের বড় অংশই আজ যেন একদলীয় ব্যবস্থার রক্ষাকারী হয়ে পড়েছে। রকিব উদ্দিনের হুঙ্কারটি শুনে সঙ্গত কারণেই স্প্যানিশ সাহিত্যের অমর সৃষ্টি ডন কুইক্সোটের কথা মনে পড়ে যায়। এই বীর পুরুষ পণ করেছিলেন, অশুভ শক্তির সাথে যুদ্ধ করে তিনি মানবসমাজে অমর হয়ে থাকবেন। বীর পুরুষদের কল্পকাহিনীমূলক কিছু বই পড়ে তার মতি বিভ্রম ঘটে গিয়েছিল। তিনি ওই সব কল্পকাহিনীকে সত্য বলে ধারণা করেছিলেন। কুইক্সোট তার পুরনো ঘোড়া আর সঙ্গী সানচো পাঞ্জাকে সাথে নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়েন। প্রত্যেক বীর পুরুষের একজন ‘লেডি লাভ’ থাকে। ডন কুইক্সোটও প্রতিবেশী এক কৃষকের কন্যাকে ‘লেডি লাভ’ ঘোষণা করেছিলেন। তার এ নিয়োগটি অবশ্য সেই কৃষাণকন্যার গোচরে যায়নি। আমাদের সমসাময়িক সবাই স্কুল বা কলেজ জীবনে এই বীরের বীরত্বগাথা পড়েছেন। পরিত্যক্ত, কাঠের তৈরি উইন্ডমিলকে অশুভ শক্তি মনে করে এর সাথে মহাবিক্রমে যুদ্ধ করে এই বীর পুরুষ আহত হয়েছিলেন। কারো মধ্যে এসব গুণের সমাবেশ দেখলে ‘ডন কুইক্সোট’ বলে ডাকা হতো তাকে। আমাদের বাংলাদেশের ডন কুইক্সোট অনেক সফল অপারেশন করে বিশ্বে নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন লিগ্যাসি সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে একটি ব্যালট পেপারে ছাপ না দিয়েও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৪টি আসনে সংসদ সদস্য ‘নির্বাচিত’ করা হয়েছিল। বাকি আসনগুলোরও ৫ শতাংশের ওপর ভোট পড়েনি। অনেক ভোট কেন্দ্র ছিল, যেখানে একটি ভোটও পড়েনি। কিন্তু দুই দিন সময় নিয়ে, অনেক ক্যালকুলেশন করে সবার চোখ কপালে তুলে ডন কুইক্সোট ঘোষণা করলেন যে, ভোট কাস্ট হয়েছে ৪০ শতাংশ! নব্য ডন কুইক্সোটের চমৎকার ফাইট জাতি দেখেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে ডন কুইক্সোটের ফাইট জাতির স্মৃতিতে চিরদিনের তরে অম্লান হয়ে থাকবে। সর্বশেষ, এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে খাপ থেকে তরবারিটি সত্যি সত্যিই বের করে ডন কুইক্সোটের স্টাইলে হুঙ্কার ছুড়েছেন। ‘শেষ’ বুলেট ব্যবহার করে হলেও অবাধ ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ডন কুইক্সোট এ দেশে ‘অসম্ভব সুন্দর’ একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ‘লেডি লাভ’-এর প্রক্সি দেয়া প্রতিবেশী সেই গণতন্ত্রকে আন্তর্জাতিক মানের গণতন্ত্র হিসেবে সিল মেরে দিয়েছেন। তবে বর্তমান সরকার শুধু একজন নয়, বেশ কয়েকজন ডন কুইক্সোট জাতিকে উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার কোটি টাকা স্রেফ ডাকাতি হয়েছে। আগে ছিল অ্যানালগ ব্যাংক ডাকাতি। এবার শুরু হয়েছে ডিজিটাল কারবার। ডক্টর তুহিন মালিক সঙ্গত কারণেই লুটের অভিধানে নতুন একটি শব্দ সংযোজন করেছেন। মিলিয়ন ডলার কিংবা কয়েক কোটি টাকা লুট হলে এটার নাম ‘হরিলুট’। কিন্তু বিলিয়ন ডলার লুট বা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হলে এর নাম ভিন্ন। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দু’টি খাত হলো, বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স ও গার্মেন্ট। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দু’টি সেক্টরের একটিতেও অতিরিক্ত কিছু যোগ হয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার এবং গার্মেন্টে আমেরিকার জিএসপি সুবিধা বন্ধ হওয়াসহ বিভিন্নভাবে বাজার সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। তারপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ল কিভাবে? মূল কারণ হলো, দেশে কোনো বিনিয়োগ না থাকায় এবং তজ্জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য জিনিসের আমদানি কমে যাওয়ায় এই রিজার্ভটি ফুলে উঠেছে। বিনিয়োগ না থাকলে দেশে কর্মসংস্থান হয় না। এটা মূলত দেশ ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি টাইমবোমার মতো। অর্থাৎ মুখে রক্ত এসেছে, কিন্তু বের হতে পারেনি। এটা আসলে একটা রোগ- ফোলা মুখকেই প্রচার করা হয়েছে ভালো স্বাস্থ্যের লক্ষণ হিসেবে। একটা পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছে এশিয়ার সেরা গভর্নর হিসেবে। অথচ সব বিবেচনায় দেশের মধ্যে মেরুদণ্ডহীন গভর্নর হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন বিশেষ পরিবার ও রবীন্দ্রনাথের ভক্ত ড. আতিউর রহমান। পদত্যাগ করে নিজেই এটাকে ভীরুর মতো নয়, বীরের মতো পদত্যাগ বলে উল্লেখ করেছেন। বীর পুরুষ তো বটেই! কয়েক হাজার টাকা ডাকাতি করলেই জনতা ডাকাতদের পিটিয়ে মেরে ফেলে, কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি হয়ে যাওয়ার পর আমানতদারের শুধু একটুখানি পদত্যাগ দেখেই জনগণ সন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে? মোড়ল সাব ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে বলেছিলেন, ‘পড়ে যাইনি। পাশেই কুটুমবাড়ি, তাই নেমে গেলাম।’ আমাদের এই বীর পুরুষও ঠিক তেমনি ‘ভাব’ করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি পদত্যাগে বাধ্য হননি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে অশ্রুসজল করে খুশি মনে নিজের ইচ্ছায় নাকি পদত্যাগ করেছেন। অথচ অর্থনীতি নামক ঘোড়ার এই পিঠ থেকে পড়ার সময় ভেতরের অনেক কিছু ফাঁস হয়ে গেছে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম শুধু রাজনৈতিক শত্রুদের ‘গণশত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছে। আসল গণশত্রুদের এড়িয়ে ঘৃণার কামানটি শুধু তাদের দিকেই তাক করা হয়েছে। আমাদের সার্বিক অসচেতনতায় আজ ফ্রাঙ্কেনস্টাইন সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের পকেট থেকে লুট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। মনে করা হয়, এই হাজার হাজার কোটি টাকা থেকে সামান্য খুদকুঁড়া ছড়ালেই তো প্রায় সবাইকে বশ করে ফেলা যায়। অনেক বিএনপি নেতা বা সমমনা ব্যক্তির বাসায় এমন পত্রিকা দেখা গেছে কিংবা এখনো দেখা যাচ্ছে, যে পত্রিকাটি বিএনপির কোমর ভাঙতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। যে যত বড় পরিকল্পনা করুক না কেন, সবচেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী একজন রয়েছেন। অনেক কিছুর কল্যাণ আমরা বাহ্য দৃষ্টিতে দেখতে পাই না। কঠিন পরীক্ষার মধ্যেও অনেক কল্যাণ তিনি লুকিয়ে রাখেন। একটি রাজনৈতিক দলের বিশেষ ভবনকে নিয়ে দেশের মিডিয়া মানুষের মনে যে ধারণা গেঁথে দিয়েছিল, তা দূর করার শক্তি বিএনপির ছিল না। আজ জনগণ পেছনের সব পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। অনেক কিছুই পানির মতো সহজ হয়ে পড়েছে। তা আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে বোঝা যেত না। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের যারা রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করেছিলেন, তারা তাদের এই ভূমিকাকে দেশের মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করেও তা পারেননি। বর্তমান সরকার ও তাদের ডন কুইক্সোটরা তাদের এ কাজটিকে যেন সহজ করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, মেজর জলিল তার এক লেখায় উল্লেখ করেছিলেন, ভারতকে নিয়ে ইসলামপন্থীদের যে আশঙ্কা ছিল, তা বোধহয় পুরোপুরি অমূলক ছিল না। আজ সব কিছু দেখে মেজর জলিলের সেই কথাকে অস্বীকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গেছে, সব নদী শুকিয়ে গেছে, গণতন্ত্র যা ছিল তাও গেছে, ট্রানজিট গেছে, অর্থনীতি ও রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাত থেকে চলে গেছে। আদালতের প্যাঁচ, মিডিয়ার প্যাঁচ দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। আমি এখনো আশাবাদী। রাজনীতির প্যাঁচ, আদালতের প্যাঁচ, মিডিয়ার প্যাঁচ, সাহিত্য সংস্কৃতির প্যাঁচ ছুটিয়ে লুটেরাদের একদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবেই। এই দেশে কয়েকজন মাহমুদের মুখ বন্ধ করলেও শত শত মাহমুদের জন্ম হবে। একই রক্তের, একই বর্ণের এক নজরুল উচ্চারণ করেছিলেন, বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না। অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না। মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।। ’ অত্যাচারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত বীর এই নজরুলরা, এই মাহমুদরা কোনো দিন শান্ত হবেন না, নিস্তেজ হবেন না, নির্জীব হবেন না। গোপাল ভাঁড়, জোকার ও ডন কুইক্সোটরা পালানোর জায়গা পাবে না। উৎসঃ নয়াদিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 12 Feb, 2016 মিনার রশিদ ইন্ডিয়ার স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী কুলদীপ নায়ার জানিয়েছেন , অজানা গন্তব্যে বাংলাদেশ । পাশের দেশে অবস্থান করার পরেও উনার বিবেকের রেডারে যা ধরা পড়েছে , সেই দেশ থেকে 'পদ্মভূষণ' সহ নানাবিধ উপাধি ও উপঢৌকন পাওয়া এদেশের কোন বুদ্ধিজীবীর রেডারে তা এখনও ধরা পড়ে নি । অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ব্যাংকগুলির অবস্থা ভালো না । আমরা যারা মেরিনের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকেই উপলব্ধি করছি এই সেক্টরে কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মেরিন ক্যাডেট রাস্তাঘাট ঘুরছে ও অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে - যা এর আগে কখনই কল্পনা করা যায় নি । তেমনি করে যারা রিয়েল এস্টেইট ব্যবসার সাথে সংযুক্ত , তারা বুঝতে পারছেন সেখানকার আসল পরিস্থিতি । সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের আতংক সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে যাতে কেউ যেন মুখ না খোলে । গবু চন্দ্র মন্ত্রীরা দেশে অলিখিত ফরমান জারি করেছে, কাঁদতে কেহ পারবে নাকো যতই মরুক শোকে। যতই কষ্ট হোক সবাইকে হাসতে হবে । সবার মুখ বন্ধ করে কিছু দালাল সৃষ্টি করে তাদের মাধ্যমে কাল্পনিক উন্নয়নের গল্প ছড়ানো হচ্ছে । দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে বিদেশে কর্মরত সাধারণ শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো । তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের প্রকৃত উন্নতিতে কাজে না লাগিয়ে তা নিয়ে মহা লুটপাট করা হচ্ছে । সবচেয়ে সস্তা শ্রমের এই দেশে রাস্তাঘাটের নির্মাণ খরচ বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে পড়েছে , উন্নত দেশের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি হয়ে পড়েছে। এই বেশি খরচের কারণটি হলো দুর্নীতি । দেশের সম্পদ এই প্রক্রিয়ায় লুটপাটের মাধ্যমে কিছু রাস্তাঘাট তৈরি করা হচ্ছে । এই ভেলকিকেই বলা হচ্ছে উন্নয়ন । আর কিছু খরচ করা হচ্ছে সামরিক এবং বেসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো বাবদ । এই লোকগুলিও উপলব্ধি করতে পারছে না যে এই চকোলেট হাতে ধরিয়ে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ও দেশটির কী মারাত্মক সর্বনাশ করা হচ্ছে । এদেশের বিচারালয়কে যেমন এক মানিক ওলটপালট করে ফেলছেন , তেমনি প্রেমালয়েও অন্য এক রতন রীতিমত ঝড় তুলে বসেছেন । মানব মানবীর এই গোপন কর্মটিকে তিনি আর চার দেয়ালের ভেতর আটকে রাখতে চান না । কিন্তু দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি এখন যে সমাজে বসবাস করছেন সেখানেও এই কর্মটিকে 'পাবলিক নূ্যইসেন্স' হিসাবে গণ্য করা হয় । এই ধরনের কর্মে নিয়োজিত যুগলকে পৃথিবীর যে কোন দেশের পুলিশ সাথে সাথেই গ্রেফতার করবে । প্রাণী জগতের অন্যান্য প্রাণীরাও এই কর্মটিকে আড়ালে আবডালে করতে চায় । তবে আশ্বিন কার্তিক মাসে কুকুর কুকুরনীরা এটা প্রকাশ্যে করে । এত কিছুর পরেও এই দেশটিতে যা কিছু শান্তি অবশিষ্ট ছিল ,মনে হচ্ছে এই কুত্তা-কুত্তিরা সেটুকুও বিনষ্ট করে ফেলবে। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: এড়িয়ে চলুন ১০টি ক্যারিয়ার মিসটেক Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার এড়িয়ে চলুন ১০টি ক্যারিয়ার মিসটেক 03 October 2016, Monday চাকরিজীবনে সাফল্য আমরা সবাই চাই। কিন্তু অসচেতনভাবে প্রতিনিয়ত কিছু ভুল আমাদের ক্যারিয়ারকে পেছনে ফেলে দেয়। প্রতিযোগিতার সময়। সবাই আছে সুযোগের সন্ধানে। একটু অন্যমনস্ক হলেই আপনার সুযোগটি চলে যাবে আরেকজনের হাতে। তাই সচেতন থাকুন এই ভুলগুলোর ব্যাপারে- ভুল ১ সার্টিফিকেট অর্জন করলেই প্রমোশন এবং টাকা মিলবে বাস্তবে সার্টিফিকেট থাকলেই আলাদা সম্মান পাওয়া যায় না। আপনার কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কোম্পানি কখন তার কোন কর্মীকে প্রমোশন দেবেন টা ঠিক হয় সেই নিয়মের অধীনে। আপনি প্রমোশন পাওয়ার জন্য অনেক প্রশিক্ষণ নিটে পারেন, নিজেকে আরও দক্ষ করতে পারেন। কিন্তু কোম্পানি হয়ত কাগজে বিদ্যার তুলনায় কাজে আপনাকে বেশী মনোযোগী দেখতে আগ্রহী। ভুল ২ নিরবে কাজ করে যেতে হবে। পরিশ্রম করলে ফলাফল এমনিই আসবে কথাটি শুনতে যত ভাল বাস্তবে ততটাই অকার্যকর। আপনাকে কাজ করতে হবে এটা সত্যি। তবে যে কোন কাজ নয়। সেই কাজগুলোই করুন যেগুলো আপনার চাকরির দায়িত্বের আওতায় পড়ে। আপনি যতই রাত জেগে খেটে যান না কেন কর্তৃপক্ষ কখনোই সেটা দেখবে না। যথাযথ কাজ করুন এবং নিজের কাজের প্রশংসা যেন অন্য কেউ না পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনি যে কাজ করছেন সেটাও যেন গোপন না থাকে। আর মর্যাদা? প্রমোশন? যা আপনার প্রাপ্য তা চাইতে কিসের সংকোচ? ভুল ৩ শেয়ারহোল্ডারদের চেয়ে কর্মীরা বেশী গুরুত্ব পাবে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না কোম্পানিকে অবশ্যই আগে শেয়ারহোল্ডারদেরকে খুশী করতে হয়। কোম্পানি আপনার মতামত নেবে। কিন্তু গ্রহণ করবে সেটাই যেটা শেয়ারহোল্ডাররা চাইবেন। তাই মতামত দেওয়ার সময় খেয়াল করুন। এত চিন্তিত বা আশাবাদি কোনটাই হবেন না। ভুল ৪ মানব সম্পদ (HR) বিভাগ সবার স্বার্থে কাজ করে খুবই ভুল একটি ধারণা এটি। ক্টি কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগ যতই বন্ধু বাৎসল হোক না কেন তার দায়িত্ব কোম্পানির পাশে থাকা। কর্মীর পাশে নয়। ঝামেলা এড়াতে চাইলে এই বিভাগের লোকজনের কাছ থেকে দূরে থাকুন। কোন সমস্যায় তারা কখনোই আপনাকে সহযোগিতা করবে না। সব সময় চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন। কাজে দিলে এই সম্পর্কই আপনার কাজে দেবে। ভুল ৫ সিনিয়রদের সব কাজ করে দিতে হবে অনেকেই সিনিওরদের খুশী রাখতে তাদের ছোট ছোট অনেক কাজ করে দেন। এভাবে দেখা যায় নিজের কাজের ক্ষতিও হয়। অথবা নিজের কাজ ঠিক রেখে করতে গেলে কাজের প্রেশার যায় বেড়ে। কিন্তু এই বাড়তি কাজ আপনার ক্যারিয়ারে আসলে কোন প্রভাব ফেলে না। মাস শেষের মিটিং এ শুধু দেখা হয় আপনার পার্ফর্মেন্স। আপনার সহযোগিতামূলক কাজ নয়। লিখেছেন আফসানা সুমী পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ রাখার উপায় Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ রাখার উপায় 05 October 2016, Wednesday অফিস, পড়াশোনা, ঘরের কাজ, পরিবারের চিন্তা এইরকম হাজারো কাজের চাপ নেয় আমাদের মস্তিষ্ক। নানান রকমের স্ট্রেসে থাকতে থাকতে কখন যেন ভোঁতা হয়ে যায় আমাদের মস্তিষ্ক। বয়সের প্রভাবটাও পড়ে এরমধ্যে। কিন্তু এতসব প্রতিকূলতার মাঝেও আপনার মস্তিষ্ককে তরুণ রাখতে পারে কিছু অভ্যাস। এসব অভ্যাস আসলে মানসিক ব্যায়াম বলেই ধরা যায়। সকাল বেলায় যখন মস্তিষ্ক থাকে রিল্যাক্স, তখনই বেশি কার্যকরী এসব ব্যায়াম। সকালের আর দশটা অভ্যাসের সাথে যোগ করে নিন মস্তিষ্কের একটি ব্যায়াম। তাতে শরীরের পাশপাশি আপনার মনেও বিরাজ করবে তারুণ্য। ভালোলাগার কাজটি করুন কাজ, পরিবার, বিভিন্ন দায়িত্বের ভিড়ে আমরা নিজেকে সময় দিতেই ভুলে যাই। কেউ হয়তো রান্না করতে ভালোবাসেন, কেউ ভালোবাসেন ছবি আঁকতে, গান গাইতে। এসব কাজ থেকে দিনের পর দিন দূরে থাকতে থাকতে আমাদের মন ভরে ওঠে স্ট্রেসে। ফলে সহজেই আমরা মনোযোগ হারাই, ছুটে যায় মেজাজের লাগাম। সকালে নিজের ভালোলাগার কাজ করতে পারেন। এতে মস্তিষ্ক অনেকটা রিল্যাক্স হবে, ফুরফুরে থাকবে মেজাজ। এতে সারাদিনের কাজ ঠিকমতো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পড়ুন কয়েক ছত্র দ্রুতগতির এই জীবনে গ্যাজেটের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে দুই লাইন লেখা পড়েছেন শেষ কবে, মনে পড়ে? কিন্তু বই পড়া এমন একটি কাজ যা আমাদের মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করতে সক্ষম। পড়তে পারেন গদ্য অথবা পদ্য, এমনকি দৈনিক পত্রিক অথবা অনলাইন আর্টিকেল পড়াটাও উপকারে আসতে পারে। শরীরচর্চা আমাদের স্বাস্থ্য এবং মেজাজ উভয়েরই উন্নতি করতে পারে শরীরচর্চা। পাশাপাশি এটা মস্তিষ্কের ওপরে অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্টের মতো উপকারি ভূমিকা রাখে। বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্কের ক্লান্তি কমাতেও কাজ করে ব্যায়াম। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিবেচনা ও স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকে। মেডিটেশন মেডিটেশন বা ধ্যানের ধারণা অনেক পুরনো। কিন্তু আমাদের শরীর, মন এবং জীবনের ওপর যে এর অনেক সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব আছে তা গবেষকেরা জানতে পারছেন বর্তমানে এসেই। বিশেষত মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অঞ্চলের উন্নতি করতে পারে ধ্যান। এছাড়াও যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন তাদের স্মৃতি বেশি দ্রুত কাজ করে। অনেক তথ্যের মাঝ থেকে দরকারি তথ্য খুঁজে বের করতে তারা হন বেশি পারদর্শী। সকালের ধ্যানের পর দিনের বাকি সময়টা মস্তিষ্ক থাকবে ফুরফুরে। ধ্রুপদী সঙ্গীত সব সঙ্গীত মস্তিষ্কের জন্য উপকারী নয় বটে। সাধারণ ধীরস্থির লয়ের, মিষ্টি সুরের ক্লাসিক্যাল মিউজিক মস্তিষ্ককে শান্ত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মোজার্ট এবং বিটোফেনের সঙ্গীত মস্তিষ্কের জন্য উপকারী এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে বলে ধরা হয়। কাজে সময়ে গান শোনাটাও কিছু অংশে কাজের জন্য উপকারী। যুক্তিভিত্তিক খেলায় অংশ নিন জীবনের একটা সময় পর্যন্ত আমরা পড়াশোনা করি, এতে আমাদের মস্তিষ্ক ধারালো থাকে। কিন্তু পড়াশোনা ছেড়ে দিলেই দেখা যায় বুদ্ধির সেই ধার চলে যায়। এতে আপনার কাজে আসতে পারে বিভিন্ন ব্রেইন বুস্টার ধরণের খেলা। এর মাঝে আছে ক্রসওয়ার্ড পাজল, ছোট ছোট কুইজ, সুডোকু ধরণের খেলাগুলো। এগুলো মস্তিষ্ককে ভোঁতা হওয়া থেকে বিরত রাখবে। এমনকি মস্তিষ্ককে গৎবাঁধা ছক থেকে বের করে আনে এমন কিছু কাজও করতে পারেন। গ্র্যাটিচিউড লিস্ট এই ধারনাটা আমাদের অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। ব্যাপারটা এমন- আপনার জীবনের ব্যাপারে চিন্তা করুন। আপনার জীবনে এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই জিনিসগুলোর একটি তালিকা করুন। এটাই গ্র্যাটিচিউড লিস্ট। জীবনের ভালো ব্যাপারগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালো কাজ করে বলে দেখা গেছে। ঘুম এটা তো সবাই জানি, তাই না? কিন্তু জানলেও মেনে চলি কয়জন? দৈনিক অন্তত সাত ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক দুইয়ের জন্যই খুব জরুরী। আর রাতে এই ঘুমের মানটা যতো ভালো হবে, সকালে আপনার মস্তিষ্ক তত ভালো থাকবে। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 বাজারের চিপস, ওয়েফার, চকোলেট ও জুসে কার্বোহাইড্রেড, মেলামিন অতিমাত্রায় থাকায় শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হলেও এসব খাবারের প্রতি তাদের আকৃষ্ট করে তোলা হচ্ছে। অথচ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে সেগুলোকে করা হচ্ছে আরও বিষাক্ত। আর বিক্রেতাদের দাবি, এসব খাবার তৈরিকারী কোম্পানির টার্গেট প্রধাণত মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। তাদের জন্যই গলির দোকানগুলোয় প্যাকেটজাত এসব খাবারের পসরা মেলে। শিশু বিশেষজ্ঞরা জানালেন, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ শিশুরা স্থূলতা ও ‍উচ্চরক্ত চাপে ভুগছে, যার প্রধান কারণ শিশুদের এসব বাইরের খাবার খাওয়া। স্থূলতা ও উচ্চরক্ত চাপ ছাড়াও কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে তারা প্রচণ্ড স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে। অথচ এসব কিছুর পরোয়া না করে মাত্রাতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেড ও মেলামিন সমৃদ্ধ চিপস, চকোলেট ও ওয়েফারসহ নানা রকমের শিশু খাদ্যে এখন বাজার সয়লাব। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো থাকে এসব শিশু খাদ্যের আকর্ষণীয় প্যাকেট, দামটাও হাতের নাগালে। আর প্যাকেটের গায়ে ফ্রিতে পাওয়া খেলনা দেখে শিশুরা হয়ে ওঠে আরও আগ্রহী। ঢাকার মালিবাগ, মগবাজার, শান্তিনগর, হাতিরপুল এলাকা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বেশ কিছু প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলোর সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি খেলনা। যেমন কোকোমো প্রিমিয়াম ফান বিস্কুটের প্যাকেট। দাম ১০ টাকা। বিস্কুটের প্যাকেটের ওপরি ভাগে লেখা রয়েছে ফ্রি গিফট ইনসাইড। প্যাকেটের ভেতরে পাওয়া গেল লাল রঙের হরিণ। সেই হরিণ আবার প্লাস্টিকের মোড়কে জড়ানো। খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে খাবারকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই কোম্পানির। মগবাজারের ওয়্যারলেস মোড়ে কথা হয় সালমা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানালেন, তার মেয়ের জন্য প্রতিদিন একটি করে পার্কি কোকোমো ওরেঞ্জ বিস্কুট কিনে দিতে হয়। নিজে যখন ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন মেয়ে যেন তাকে বিরক্ত না করে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা। অন্যদিকে, মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিস্কুটের চেয়ে তার আগ্রহ প্যাকেটের ভেতরে থাকা প্লাস্টিকের খেলনার প্রতি। শিশুটি হাসিমুখে জানালো, বন্ধুদের ভেতরে কার কতটি এ রকম খেলনা রয়েছে, এ নিয়ে প্রতিদিন তাদের কথা হয়, প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিদিন একটি করে উইন পিলো চকোলেট কেনেন রাজু আহমেদ। মেয়ে রুফাইদাকে একটি করে এই চকোলেট কিনে না দিয়ে তিনি ঘর থেকেই বের হতে পারেন না। আর উইনপিলো চকোলেটের প্যাকেটের ভেতরেও রয়েছে প্লাস্টিকের কোনও একটি খেলনা। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজু এসব খাবারের মান নিয়ে শঙ্কিত। যদিও মেয়ের আবদারের কাছে প্রতিদিন তাকে হারতে হয়। জানালেন, কোম্পানিগুলো শিশুদের আকৃষ্ট করছে এসব খেলনা দিয়ে, অথচ কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে আগামী প্রজন্ম, এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। একই কোম্পানির পার্কি কোকোমো ওরেঞ্জ বিস্কুটের প্যাকেটেও রয়েছে একই কথা লেখা। প্যাকেটগুলোর ওপরে কার্টুন ছবি দিয়ে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। প্রাণ কোম্পানির উইনপিলো চকোলেট ওয়েফারের সঙ্গেও দেওয়া হচ্ছে এমন ফ্রি গিফট। এর দাম ১০ টাকা। প্যাকেট খুলে ভেতরে পাওয়া গেল প্লাস্টিকের একট হাতি। অন্যদিকে, কোকোবিস চকোলেট ফিল্ড বিস্কুটের প্যাকেটের ভেতরে পাওয়া গেল হলুদ রঙের হলদে সাপ। । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাওসার বিপ্লব এটিকে আখ্যায়িত করলেন কেবলই ব্যবসার মুনাফা হিসেবে। এটা একধরনের প্রণোদনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারের দোকানে শিশুদের জন্য খেলার জায়গাসহ নানকিছু করে, যেখানে খাবারটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, শুধু শিশুদের সময় কাটানোর জন্য অভিভাবকরা সেখানে গিয়ে থাকেন। তবে, এসব খেলনার জন্য বাবা-মাসহ অভিভাকরা যেন শিশুদের কাছে জিম্মি না হয়ে যান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব খেলনা পেতে পেতে বাবামা যেন কন্ডিশনড না হয়ে যান, সেই দিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিনের জন্য যদি এটা হয়ে যায় তাহলে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে একে অভিহিত করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুবর্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মানসুবা তাবাসসুম হক এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চিপস ব্রেইস সেল ড্যামেজ করে দেয়, বাচ্চাদের হাইপার করে দেয়, সে তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। ঘুমাচ্ছে না, ক্ষুধা পাচ্ছে না । যোগাযোগ করা হলে প্রাণ-এর কাস্টমার রিলেশনস এক্সিকিউটিভ মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তাদের সব খাদ্যপণ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়, এখানে ক্ষতিকর কিছু নেই। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খাদ্য পুষ্টি নিয়েও আমরা কাজ করি, আর এসব খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিকের খেলনা মিশিয়ে কতটা ক্ষতিকর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, সাধারণভাবেই বলা যায় একটা মোড়কের ভেতরে খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক মেশানো হচ্ছে, আর এটা ক্ষতিকর হতে বাধ্য। কারণ, প্লাস্টিকের ঘর্ষণে গুঁড়ো পড়তে থাকে, রং মিশতে থাকে, আর এসব খাবারের রং কিসের সেটাও আমরা জানি। এটা চোখ বুজেই বলে দেওয়া যায়, কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছি আমরা শিশুদের। কোনও সন্দেহ নেই যে এগুলো শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ভবিষ্যৎ হুমকি হয়ে কাজ করছে। গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী রকিবুল ইসলাম এসব খাবারের বিষয়ে বলেন, এ সব খাবারের অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেড অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে, কিছু কালারিং এজেন্ট (বিভিন্ন রং) থাকে যেগুলো একেবারেই খাবার অনুপযোগী, যেগুলোতে নানা ধরনের কেমিক্যাল থাকে, আবার মেলামিন নামের একটি পদার্থ থাকে। কিছু-কিছু খাবারে এই মেলামিন সহনীয় মাত্রায় থাকলেও বেশিরভাগ শিশু খাদ্যে একটি অসহনীয় পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, এসব উপাদানের কারণে শিশুরা পেটের পীড়া, চোখের সমস্যা, ডায়রিয়া, স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি এবং হৃদরোগের ঝুঁকিতে পরে। সবচেয়ে বড় সমস্যা শিশুদের যেটা হয় তা হলো, এসব খাবারের অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে সাধারণ এবং পুষ্টিকর খাবার তখন শিশুরা খেতে চায় না। যার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং শরীর গঠিত হয় না। উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 06 Feb, 2016 মিনার রশীদ আমাদের এক সিনিয়র ভাই। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করার সময় তার বাবার বাল্যবন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন। সেই বেডানোটি বাহ্যত বাবা-মায়ের বিশেষ আগ্রহের কারণে। কারণ সেই চাচার একটি অবিবাহিত মেয়ে ছিল। যাকে বলে লন্ডনি মাইয়া। ফলে বাবা-মায়ের কিছু মতলব থাকতেই পারে। নিজের ভেতর থেকেও একেবারে কোনো তাগিদ ছিল না, সেটাও হলফ করে বলা যাবে না। ভদ্রলোক অনেক আগেই বিলাতবাসী হয়েছেন। ছেলেমেয়ের জন্মও এখানে। সামান্য জোরাজুরি করাতেই বড় ভাইটি রাতে সেই চাচার বাসায় থেকে যান। বেশ রাত করে ভদ্রলোকের মেয়েটি বাসায় ফিরেছে। তবে একা নয়। সঙ্গে এক সাদা নাগর। দেশী ভাষায় বলে ‘লাং’। নতুন আগন্তুককে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে বাবাকে একটু ‘হাই’ বলে দুজনেই সোজা বেডরুমে চলে যায়। একটু পরেই দরজার ছিটকানি লাগানোর আওয়াজ পাওয়া যায়। আমার সেই বড় ভাইটির কাছে জীবনের সবচেয়ে বাজে আওয়াজ। মেয়েটির বাবার কানেও তেমন করে বাজার কথা ছিল। কিন্তু এদের কিছু সেন্সর নষ্ট হয়ে পড়েছে বলে তেমন করে বাজে না। বিষয়টি এই বাসার জন্য খুবই স্বাভাবিক হলেও নতুন আগন্তুকের কারণে একটু অস্বাভাবিক ঠেকেছে। কিছুটা লজ্জিত ভঙ্গিতে সেই চাচা বললেন, কী করব বাবা, এই হলো আমাদের এখানকার পরিস্থিতি ! সিনিয়র ভাইটির মুখে এই গল্প শুনে তার অপর এক বন্ধু টিপ্পনি কাটে, আরে ব্যাটা! সেই দিন তোদের চাচা-ভাতিজার ইজ্জত বেঁচেছে! ভাগ্যিস তোর চাচি অন্য আরেক সাদা বান্দরকে নিয়ে চাচা-ভাতিজার চোখের সামনে দিয়ে অন্য রুমে ঢুকে দরজা আটকে দেয়নি। একসময় এদেরকেই বলা হতো ‘ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি’। নবজাতককে দেখতে হাসপাতালে গেলে এ দেশের এক স্ত্রী তার স্বামীকে নাকি বলেছেন, ‘ডিয়ার, তুমি এই সন্তানের বাবা নও- সন্তানের বাবা অমুক।’ এখন পুরো রাষ্ট্রটিই একই কিছিমের ‘ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র’ হয়ে পড়েছে। এখন এই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনি কর্মকর্তা বা অ্যাটর্নি জেনারেল বলবেন, এটা সেই স্ত্রীর অফিসিয়াল কথা নয়, তার ব্যক্তিগত কথা। কারণ অফিসিয়ালি এটি তিনি তার স্বামীকে বলতে পারেন না। কাজেই স্ত্রীর এই স্বীকারোক্তির পরেও তাদের দাম্পত্য জীবনের ফসল এই সন্তান বৈধ। কারণ এটি বাংলাদেশ। এখানে বটম লাইনে বা শেষ লাইনে যা বলা হবে, সেটাই ঠিক। প্রধান বিচারপতি হলেন একটি দেশের সর্বোচ্চ আইনি ব্যাখ্যাদাতা। বর্তমান প্রধান বিচারপতি অবসরের পর বিচারপতিদের রায় লেখাকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন। তার এই ব্যাখ্যার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসংক্রান্ত রায়টিকে আর বৈধ বলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলির মতো রাষ্ট্রটিও আজ ড্যাম কেয়ার হয়ে পড়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, এটা প্রধান বিচারপতির অফিসিয়াল কথা নয়, এটি তার ব্যক্তিগত কথা। কাজেই অনেক কিছুই অবৈধ হয়ে পড়লেও এখানে কোনো কিছুই অবৈধ নয়। সত্তর লাখ টাকা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেও রেলের কালো বিড়ালদের কিচ্ছু হয় না। বরং গলার আওয়াজ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। নিজে কালো বিড়াল হয়েও দেশের প্রধান বিচারপতিকে মুখ সংযত করার নির্দেশ দেয়া যায়। বিসিএস পরীক্ষায় কী ধরনের কুকর্ম করে লীগের ছেলেদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তা নিজের মুখে প্রকাশ্যে বলে ফেললেও এইচ টি ইমামদের কিচ্ছু হয় না। পদ্মা সেতুতে মহাঘাপলা করলেও কারো টিকিটিও ধরা যায়নি। আমরা সব ভুলে গেছি। অথচ অতিরিক্ত পয়সাটি যাবে জনগণের পকেট থেকেই। মাঝখান থেকে আবুলরা আরো বড় দেশপ্রেমিক হিসেবে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এখানে জাতি অর্থ ও সম্মান কতটুকু খুইয়েছে তার কোনো হদিস নেই। ভাবসাবে মনে হয় কিচ্ছু হয়নি। নেপোলিয়ন যথার্থই বলেছেন, অসৎ লোকের কর্মকাণ্ডে সমাজ ধ্বংস হয় না। সমাজ ধ্বংস হয় ভালো লোকের নিষ্ক্রিয়তায়। আমাদের ক্ষেত্রেও হুবহু তাই হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করলেও শেয়ারবাজারের দরবেশ বাবাজিদের প্রতি রাষ্ট্র ড্যাম কেয়ার। কুইক রেন্টাল- হু কেয়ারস? রুনি সাগর- হু ডেয়ারস (টু টক)। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে- হু বদারস। মোদ্দা কথা, সাত খুন করেও এই রাষ্ট্রে আরামদায়ক এসির বাতাস খাওয়া যায়। গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে, জবাবদিহিতার সব প্রতিষ্ঠান মুখথুবড়ে পড়ছে, প্রতিবাদ না করে মিডিয়াগুলো দালালি শুরু করছে- দেখার কেউ নেই। ইয়াবা কেইসের ভয় দেখিয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় পডুয়া মেয়ের ইজ্জত লুটতে চাচ্ছে- বলার কেউ নেই। কারণ এই পুলিশকে দিয়েই সরকার সব কুকাম করাচ্ছে। সরকারের নফসের সেবায় নিয়োজিত পুলিশ নিজের নফসের একটু দেখভাল তো করবেই। ২. প্রথম শ্রেণীর এক দৈনিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর মঈনুল ইসলাম ‘বিচারপতির ওপর বিএনপির অহেতুক আক্রমণ’ শিরোনামে একটি কলাম লিখেছেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন দেখে একটু আগ্রহভরেই কলামটি পড়েছি। লেখক ভদ্রলোক আইনের প্রফেসর নন। তিনি হলেন অর্থনীতির প্রফেসর। তবে এই মানের একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি সমাজের যেকোনো বিষয় নিয়েই লিখতে পারেন। কোনো কোনো পাঠক অতি বিনয়ের সাথেই তাকে তার নিজ পরিধির মধ্যে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন। পুরো রচনাটি পড়ার পর এ ধরনের পরামর্শ খুব অমূলক বা অহেতুক বলে মনে হয়নি। এ দেশে অনেক কলামিস্ট আছেন, যাদের কলামের চেয়ে নিচে অন লাইন পাঠকদের মন্তব্য বেশি আকর্ষণীয় হয়ে পড়ে। এই লেখাটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একজন প্রফেসর কথার শুরুতেই বলে নেন, রাজনীতি আমি বুঝি না। অথচ দেশের মানুষ তাকে সবচেয়ে চতুর পলিটিশিয়ান বলে জ্ঞান করেন। একই মতলবে অন্যরা বলেন, আমি কোনো পক্ষকে সমর্থন করে লিখছি না। অথচ মানুষমাত্রই রাজনৈতিক জীব। সে হিসাবে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশের এ ধরনের সমর্থন থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু এই কথাটি স্বীকার করার মতো সৎ সাহসটি এই জ্ঞানীগুণীদের অনেকের নেই। এরা কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো দায় নিতে চায় না। কিন্তু ফায়দাটি ষোলো আনা নিতে চায়। যা হোক, তার সেই লেখাটিতে ফিরে আসি। বিচারপতির প্রতি বিএনপির আক্রমণ নিয়ে কথা শুরু করলেও লেখাটির ছত্রে ছত্রে বিএনপির প্রতি লেখকের আক্রমণ স্পষ্ট হয়েছে। সেই আক্রমণে সাপোর্টিং ডকুমেন্টের চেয়ে প্রিয় দলটির মনের মাধুরীই বেশি ফুটে উঠেছে। সেই লেখার এক জায়গায় লিখেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের ব্যাপারে আমি পক্ষে-বিপক্ষে কিছু বলতে চাই না। তবে সংক্ষিপ্ত রায় যেহেতু শপথের অধীনে থাকাকালীনই দেয়া হয়েছে, অতএব পরে এর পূর্ণাঙ্গ লিখিত ব্যাখ্যাসংবলিত রায়ে ওই সংক্ষিপ্ত রায়ের কোনো ব্যত্যয় না করা হলে সেটা অসাংবিধানিক কেন হবে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তার এই যুক্তিটি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এখন রায়টিকে আরেকবার তলিয়ে দেখা যায়। আমরা সবাই জানি, বিচারপতি খায়রুল হক তার সংক্ষিপ্ত রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতিকে আরো দুই মেয়াদে অব্যাহত রাখার কথাটি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু অবসরের পর যে পূর্ণাঙ্গ রায়টি লেখা হয়েছে, তাতে এই দুই মেয়াদ অব্যাহত রাখার কথাটি উঠিয়ে দেয়া হয়। কাজেই সংক্ষিপ্ত রায় ও পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্যে স্পষ্টতই ব্যত্যয় ঘটেছে, আকাশ পাতাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। সংক্ষিপ্ত রায় বহাল থাকলে আরো দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতো। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কারণে তা হয়নি। আদালতের এই কাঁধটিতে বন্দুক রেখেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়। যদিও ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্রে বৈধতা অবৈধতার মধ্যে সব ফারাক মুছে গেছে। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম [email protected] অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক 30 August 2014, Saturday স্বজন হারানো মানুষের এই কান্না কবে শেষ হবে?চাঞ্চল্যকর কোনো খুনের ঘটনা ঘটলে, গুরুত্বপূর্ণ কেউ অপহৃত হলে অথবা অন্য কোনো বড় অপরাধ সংঘটিত হলে মিডিয়া মুখর হয়, সরকারের সমালোচনা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। সরকারও কিছুটা নড়েচড়ে বসে। মন্ত্রী-সাংসদেরা বিবৃতি দেন। পুলিশের কর্মকর্তারা দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করেন। খুনি যে-ই হোক অথবা অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। মিডিয়ার মনোযোগ, তা আমাদের দেশে হোক, বিদেশে হোক, একটা শিশুর মতো, খুবই স্বল্পস্থায়ী। একটা বড় ঘটনার পেছনে মিডিয়া যদি দিন কয়েক লেগে থাকে, আরেকটি বড় ঘটনা ঘটে, সেই মনোযোগ আর থাকে না। আর কোনো অপরাধের খবর মিডিয়া থেকে মিলিয়ে গেলে তার প্রতিকারও দূরের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। অপরাধী আড়াল থেকে ফিরে আসে, অথবা ধরা পড়লেও জামিন নিয়ে বেরিয়ে যায়। নতুন করে অপরাধ ঘটায়, অথবা মিডিয়ায় বেশি শোরগোল হলে বিদেশে পালায়। ফলে অপরাধ চক্রের ধারাবাহিকতায় কোনো ছেদ পড়ে না। কিন্তু অপরাধ কেন হয়, অপরাধের মাত্রা কেন বাড়ে, অপরাধী কেন বেপরোয়া হয়, সেই প্রশ্নে তেমন কোনো সময় দেওয়া হয় না। একটা সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে কাকে কী করতে হবে, কোন দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোন দিকে নজর দিতে হবে, এসব রকেট-বিজ্ঞানের মতো জটিল কোনো বিষয় নয়, একজন স্কুলছাত্রও উত্তরগুলো বলে দিতে পারে। একবার এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল, যার বিষয়বস্তু ছিল অপরাধ নির্মূল। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিল অনুষ্ঠানটি। বিতর্কের দুই পক্ষই এমন চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করল প্রসঙ্গটির যে শ্রোতাদের বুঝতে বাকি থাকল না, কেন অপরাধ হয় এবং কেন এর মাত্রা ও বিস্তার বাড়ে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীরা যেসব কারণ উল্লেখ করেছিল অপরাধ সংঘটনের, যার কিছু আমি এই লেখায় উল্লেখ করব, সেগুলো নিয়ে দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আমাদের সমাজ। সে জন্য কারণগুলো সামনে এলে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা না করে ঝাড়ু দিয়ে গালিচার নিচে ঢুকিয়ে দিতেই উদ্গ্রীব হয়ে পড়ে সবাই। এক বিতার্কিক সেদিনের এক খবরের কাগজ দেখিয়ে বলল, এক সচ্ছল পরিবারের ছেলে এক গুরুতর অপরাধের দায়ে প্রমাণসহ অভিযুক্ত হলেও সব দোষ চাপানো হলো তার নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ওপর। অপরাধটা ছিল ধর্ষণের, যা ওই শিক্ষার্থী তার সৌজন্যের কারণে উল্লেখ করেনি। তার প্রশ্ন ছিল, এই ছেলেটি যে একটি দানব, তা তো পরিবার মেনে নিল, এবং তাকে যে লাইসেন্স দিয়ে দিল, এতে এরপর আরও বড় অপরাধ ঘটাতে সে কি উৎসাহ পেল না? এ কয়দিন দেশে খুনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো লোমহর্ষক, ঠান্ডা মাথায় করা। এক মসজিদের ইমাম, ইসলাম ধর্ম নিয়ে যিনি কথা বলতেন টিভি চ্যানেলে, তাঁকে গলা কেটে খুন করা হলো। এক বাড়িতে ঢুকে তিনজনকে গুলি করে মারা হলো। সারা দেশে এ কয়দিনে ঘটেছে আরও অনেক খুন, জখম ও অন্যান্য অপরাধের ঘটনা। মিডিয়াতে লেখালেখি ও কথা বলা হচ্ছে। সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিরোধী দল (অর্থাৎ বিএনপি) সরব হয়েছে, বলছে, সরকার খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ সরকার ব্যর্থ। তবে সরকার আগেও বলেছে, ঘরের ভেতর মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এই কথার ভেতর যুক্তি আছে। যেমন যুক্তি আছে নৌমন্ত্রীর কথায় যে পিনাক-৬ উদ্ধার না করতে পারাটা সরকারের ব্যর্থতা নয়। মন্ত্রী একে সাফল্যও বলছেন না, তবে আন্দাজ করি, কিছুদিন হাঁকডাক করে একটা উদ্ধার তৎপরতা যে দেখানো হলো, তা-ই বোধ হয় প্রকৃত সাফল্য। খুনের ব্যাপারেও হাঁকডাক হয়েছে। বলা হয়েছে দ্রুততম সময়ে অপরাধীরা ধরা পড়বে। তবে একটা অপরাধের সুরাহা হলেও ১০টার হয় না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে নবজাতক চুরি হওয়ার সাত দিনের মধ্যে র্যাব তাকে উদ্ধার করেছে, কিন্তু গত পাঁচ মাসে যে আরও ছয় নবজাতক চুরি হলো, তাদের খবর কী? মিডিয়া সাগর-রুনি হত্যার প্রসঙ্গ তোলে। ইলিয়াস আলীর অপহরণের প্রসঙ্গ তোলে। আরও অনেক অপরাধের গল্প বলে। কেন সেগুলোর সমাধান হয় না? কেন অপরাধীরা ধরা পড়ে না? সরকারের দায়টা এখানে আসে। অপরাধ অপ্রতিরোধ্যভাবে কেন হয়, সে প্রশ্নের উত্তরে ওই বিতার্কিকেরা যা বলেছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ যোগ করে বলতে পারি, এর কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, দায়মুক্তির চর্চা, অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়া, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন, লোভের সংস্কৃতির ব্যাপকতা (যার একটি প্রকাশ দুর্নীতি), উগ্রবাদ, মাদক এসবের প্রভাব ইত্যাদি। অপরাধ হয়, কিন্তু অপরাধীরা ধরা পড়ে না, ধরা পড়লেও তাদের শাস্তি হয় না। এই বিষয়টাই তো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূলের প্রধান অন্তরায়। কেন শাস্তি হয় না? কারণ, অপরাধীদের রাজনৈতিক অবস্থান অথবা সংশ্লিষ্টতা। যারা আইনের রক্ষক, তারাই যদি ভক্ষক হয়ে দাঁড়ায়—যেমন ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে এবং অন্য অসংখ্য জায়গায়—তখন অপরাধ আর অপরাধী এক হয়ে যায়। সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের ভেতরে চলছে মারামারি, সরকারি দল যেসব থামানোর বদলে সহ্য করছে। টেন্ডার-বাণিজ্য চলছে। চলছে নানা অপকর্ম। সরকারদলীয় এক সাংসদের বিরুদ্ধে কাগজে অভিযোগ উঠছে ইয়াবা-বাণিজ্যের। নদী দখল করছেন সরকারদলীয় সাংসদেরা, নদীর মাঝখান দিয়ে কংক্রিটের রাস্তা বানাচ্ছেন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সরকার নিশ্চুপ। এই নিশ্চুপতা শতবর্ষের। বিএনপি আজ অভিযোগ করছে সরকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু বিএনপি আমলেও চিত্রটা ছিল একই রকমের, কারণ, নিজের দলের অপকর্মের দিকে চোখ বন্ধ রাখাটা পুরোনো চর্চা, যার ধারাবাহিকতাই আমরা এখন দেখছি। একটা আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কল্পনা করুন—যার ছবিটা ওই স্কুল-বিতার্কিকেরা নিখুঁতভাবে এঁকেছিল—যেখানে সরকার অপরাধের প্রতি শূন্য-সহ্যবোধ বা জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজে নামল, যেখানে অপরাধীর একটাই পরিচয় সে অপরাধী এবং রাষ্ট্র পুরো সক্রিয়তা নিয়ে নেমে পড়ল অপরাধ নির্মূলে। সেই রাষ্ট্রে অপরাধের ডগায় নয়, দৃষ্টি যাবে গোড়ায়, যেখানে শিশুরা শিখবে অপরাধকে ঘৃণা করতে, দেখবে তার দৃষ্টান্ত, যেখানে সংস্কৃতির শিক্ষা, আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার শিক্ষা তাদের নিজেদের শক্তি খুঁজে নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। তারা আপন শক্তিতে বিশ্বকে জয় করতে দাঁড়িয়ে যাবে। ওই সংস্কৃতির শিক্ষা, বিজ্ঞানমনস্কতা, অগ্রসর চিন্তা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা সমাজটাকেই বদলে দেবে। সেই সমাজে কোনো ধর্ষক ছেলেকে বাবাই তুলে দেবেন পুলিশের হাতে। সেই আদর্শ রাষ্ট্রে গণতন্ত্র হবে তৃণমূলের, সেখানে তরুণেরা কোনো দলের লেজ হয়ে দানবশক্তি নিয়ে সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে না, বরং সৃজনের শক্তি নিয়ে দেশটা এগিয়ে নিতে পথে নামবে। সেই রাষ্ট্রে উগ্রবাদ কলকে পাবে না, মাদক হেরে যাবে সৃজনশীল আত্মবিকাশের কাছে। অপরাধ একটা এক মাথার দৈত্য না যে ওই মাথাটা কেটে ফেললে অপরাধ নির্মূল হবে। গ্রিক পুরাণের হাইড্রার মতো এর শত মাথা। এই দৈত্যকে শুরুতেই পরাস্ত করতে হবে। বিতর্কের সেই আসরে বসে আমি বুঝেছিলাম, তরুণেরা তা করতে প্রস্তুত, সেই শক্তি অর্জন করতেও তারা প্রস্তুত। প্রস্তুত নয়, ইচ্ছুক নয় শুধু আমাদের রাজনৈতিক প্রশাসনিক কাঠামো ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা, আইনের রক্ষকদের ও সমাজের একটি অংশ। এর একটি কারণ, অপরাধ এখন বাণিজ্যও বটে। এই বাণিজ্যে এখন অনেকেরই রমরমা অবস্থা। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম আলো ) পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Sep, 2016 তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয় 10 Jul, 2015 সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে 13 Nov, 2014 আপনাকে অভিবাদন, স্যার 06 Nov, 2014 সামনে তো এগোতেই হবে 19 Oct, 2014 গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক 21 Jul, 2014 শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় 07 Jun, 2014 প্রশ্নপত্র ফাঁস, না শিক্ষার গলায় ফাঁস? 12 May, 2014 সরকারের নারায়ণগঞ্জ পরীক্ষা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: চাপ জয় করার ৮ উপায় জেনে রাখুন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার চাপ জয় করার ৮ উপায় জেনে রাখুন 01 October 2016, Saturday ১. ব্যায়াম কর্মব্যস্ততায় ব্যায়ামের সময় কোথায়? এটা দৈনন্দিন অভ্যাসের বিষয়। আপনি চাইলেই সপ্তাহের পাঁচ দিন শরীরচর্চা কাজটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারেন। কিংবা সপ্তাহে মাত্র দুই দিনের ব্যায়ামে দারুণ উপকৃত হতে পারেন। মাত্র ১০ থেকে ৩০ মিনিটের শরীরচর্চায় নিঃসৃত হয় গামা-অ্যামাইনোবিউটাইরিক এসিড। এটা এমন এক নিউরট্রান্সমিটার, যা মানসিক চাপ কমিয়ে আনে। এ ছাড়া সৃষ্টিশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায় ব্যায়াম। তাই সফল মানুষদের এই অভ্যাস গড়ে তুলতে চেষ্টার অন্ত থাকে না। ২. টুকিটাকি কাজ কমিয়ে আনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খুঁটিনাটি কাজগুলো সময় খেয়ে ফেলে। এসব কাজের জঞ্জাল বেড়ে গেলে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময়টাও নষ্ট হয়। অবসর বা ছুটির দিনটিতে যদি এই কাজে সময় চলে যায়, তবে চাপ সামলাবেন কিভাবে? তার পরও ছোট ছোট কাজ ঠিকই জমে যায়। তাই এদের রফা করতে সময় বেছে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন অন্য কোনো কাজের ফাঁকেই এদের সামলে নিতে। গোটা সপ্তাহে এমনভাবে কাজটি করবেন যেন ছুটির দিনটাতে পুরোটা সময় হাতে থেকে যায়। তা ছাড়া টুকিটাকি কাজ যেন জমে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। ৩. বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এ তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা যায় একে। যদি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে অবসাদ দেখা দিতেই থাকবে। যদি ২৪ ঘণ্টা কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রাখেন, তবে প্রাণশক্তি ফুরিয়ে আসবে। একসময় আর কাজ করতে পারবেন না। কাজে নিয়মিত উদ্দীপ্ত থাকতে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে হবে। এর জন্য সময়মতো কাজকে ছুটি দিতে হবে। অবসরে বসে বসে ই-মেইল ঘাঁটবেন না। কিংবা ঘুমানোর আগে স্মার্টফোনে সময় নষ্ট করবেন না। ৪. আত্মার খোরাক হয়তো ছোটকাল থেকেই আপনি কিছু একটা দারুণ ভালোবাসেন। এতে লাভ-লোকসানের কোনো হিসাব নেই। এটা এমন এক শখ, যা আপনার ভেতরটাকে প্রাঞ্জলতায় ভরিয়ে দেয়। অবসরে এর পেছনে সময় দিন। এসব কাজ মনে আনন্দ দেয়। ক্লান্তি-অবসাদ দূরে ঠেলতে এই শখগুলো শক্তিশালী উৎস হয়ে ওঠে। সংগীতচর্চা, পড়া, লেখালেখি, চিত্রাঙ্কনসহ যেকোনো সৃষ্টিশীল কাজ আপনার আত্মার খোরাক হয়ে ওঠে। ৫. পরিবারে স্বাস্থ্যকর সময় প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গেই তো আছেন। কিন্তু এদের সঙ্গে চমৎকার কিছু সময়, যা স্মৃতি হয়ে থাকে, তা কমই কাটানো হয়। কর্মদিবসগুলো সত্যিই ব্যস্ত থাকে। যখনই সময় পান, পরিবারের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করুন। ৬. রোমাঞ্চকর অনুভূতি মজার যেকোনো কাজ করুন। কোনো কনসার্টে চলে যান। নতুন কোনো সিনেমা দেখে আসুন থিয়েটারে। দূরে কোথাও অভিযান চালিয়ে আসুন। এতে আগের সব জড়তা চলে যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, রোমাঞ্চকর কোনো অনুভূতি নিয়ে যেকোনো কাজ করতেই উৎসাহ মেলে। ৭. একই সময় উঠুন প্রতিদিন সকালে একই সময় ওঠার চেষ্টা করুন। একেক সময় ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। একই সময় উঠুন। প্রতিটা সকাল সুন্দর হবে। একেক সময় ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে ওঠার অভ্যাস দেহঘড়িকে এলোমেলো করে দেয়। আর তা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে দেবে। এমনকি ছুটির দিনটিতেও একই সময় ওঠার চেষ্টা করবেন। খেয়াল করে দেখবেন, অনেক বেশি ঘুমিয়ে উঠলেও কিন্তু মনটা ভার হয়ে থাকে। ৮. আসন্ন সপ্তাহের জন্য প্রস্তুতি আসছে সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকুন। সেখানে কী করবেন, কী কী কাজ রয়েছে, কোন কাজটি কখন বা কবে করবেন ইত্যাদি বিষয়ে কার্যসূচি ঠিক করে ফেলুন। আগাম প্রস্তুতি পরের সপ্তাহে আপনার চাপ অনেক কমিয়ে আনবে। এতে উৎপাদনশীলতাও বাড়ে। --ফোর্বস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: এত্ত আরামের জেলখানা! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার এত্ত আরামের জেলখানা! 07 October 2016, Friday জেলখানার কথা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে পুরোনো দেয়াল, জনাকীর্ণ রুম, এবং ভয়ানক জীবনযাপনের কথা ভেসে উঠে। তাই না? কিন্তু নরওয়ের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত কারাগার ‘হালডেন’ এর অবস্থা মোটেই এইরকম নয়। বন্দীদের পুনর্বাসনের দিকে লক্ষ্য দিয়ে ‘হালডেন’ আমাদের জেলখানা নামক বর্বরোচিত স্থান সম্পর্কে সমস্ত ধারণা ভঙ্গ করে দিয়েছে। হালডেন জেলখানা নির্মাণ করা হয়েছে সামাজিক অ্যাপার্টমেন্ট স্টাইলে এবং বন্দীদের মধ্যে যেন ভালো আচরণ থাকে সেজন্য পারিবারিক পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে। হালডেন জেলখানায় বন্দীদের জন্য যে অত্যাধুনিক সুবিধাগুলো রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো। কারাবন্দীদের মানসিক চাপ উপশমের জন্য ১ মিলিয়ন অর্থ খরচ করা হয়েছে কারাগারের ভেতরে পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন আলোকসজ্জায়। নরওয়েতে সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ হচ্ছে, এমনকি মানুষ হত্যার মতো অপরাধের সাজা ২১ বছরের কারাদন্ড। আর যেহেতু বেশিরভাগ বন্দীরা সাজা শেষে অবশেষে সমাজে ফিরে যাবে, তাই কারাগারের রুম বাসার রুমের মতোই ডিজাইন করা। হালডেন জেলখানার ভেতরের প্রতিটি কক্ষে বন্দীদের জন্য টাইলস করা বাথরুম, মিনি ফ্রিজ এবং ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভির ব্যবস্থা রয়েছে। কারাগারটির প্রতি ১০-১২টি রুমের বন্দীদের জন্য রয়েছে একটি রান্নাঘর। যেখানে বন্দীরা সন্ধ্যায় তাদের পছন্দ মতে খাবার তৈরি করতে পারে এবং লিভিংরুমে বিনোদন উপভোগ করতে পারে। কারাগারের ভেতরে রয়েছে রক ক্লাম্বিং ওয়াল (দেয়াল চড়ে শরীরচর্চা ব্যবস্থা), জগিং এর রাস্তা এবং এমনকি একটি ফুটবল মাঠ রয়েছে। বন্দীরা যাতে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে না পরে, সেজন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। কারাগারটিতে বন্দীদের জন্য পেশাদারী মিক্সিং বোর্ড দিয়ে সজ্জিত রেকর্ডিং স্টুডিও রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ সংগীত শিক্ষক বন্দীদের সংগীত শিক্ষা দিয়ে থাকেন। একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে অনুভূতি স্বাভাবিক রাখার জন্য হেলডেন কারাগারের স্থপতি অত্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন ২০ ফুট উঁচু দেয়াল ঘেরা কারাগারটির মধ্যে পর্যাপ্ত গাছ রেখেছেন। এমনকি বন্দীদের জগিংয়ের রাস্তায় বিশ্রামের জন্য বেঞ্চ ও দাবার বোর্ডেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দীদের মুড উদ্দীপিত রাখতে হালডেন কারাগারের দেয়াল ১৮টির বেশি ভিন্ন রঙে রাঙানো রয়েছে। এছাড়াও কারাগারটিতে দুই বেডরুমের একটি গেস্টহাউস রয়েছে। বন্দীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাদের পরিবারের লোকজন এসে গেস্টহাউসটিতে থাকতে পারেন। কারগারটির সকল নিরাপত্তাকর্মীরা অফিসার্স একাডেমি থেকে ২ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। নিরাপত্তকর্মীদের কাজের অন্যতম অংশ হচ্ছে, বন্দীদের এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণ করা যে ‘তাদের কথাবার্তা অর্থপূর্ণ, জ্ঞানগর্ভ এবং পুনর্বাসনের জন্য যতটা সম্ভব উপযোগী করা।’ মজার ব্যাপার হলো, হালডেন কারাগারের অর্ধেক নিরাপত্তা কর্মী নারী। কারাগারটিতে বন্দীদের স্বাস্থ্যের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়। এখানে ডেন্টিস্ট, ডাক্তার, নার্স এবং লাইব্রেরিয়ান প্রদত্ত সেবা রয়েছে, যারা স্থানীয় পৌরসভার। হালডেন কারাগারে এছাড়াও একটি ছোট হাসপাতাল এবং দাঁতের ডাক্তারের অফিস রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধ পরিবেশের অনুভূতি বন্দীরা যেন না পায়, সে সুবিধার্তে হালডেন কারাগারে একটি কিচেন ল্যাবরেটরি রয়েছে, যেখানে বন্দীরা পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা ও রান্না শিখতে পারে। এমনকি বন্দী পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠায় তারা যেন শেফ অথবা ওয়েটার হিসেবে ক্যারিয়ার গঠনে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে, সেজন্য প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 10 Oct, 2015 এখন থেকে তিন বছর আগেও স্কুল বাদ দেয়া বিকাশ তার বাবার সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করে সহায়তা করত। উত্তর ভারতের কানপুরের বাসিন্দা বিকাশ তার বাবাকে সহায়তা করার এ কাজকে খুব তুচ্ছ কাজ হিসেবেই দেখত। দিন বদলেছে, বদলেছে বিকাশের ভাগ্য। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক কিডনি বিক্রির দালালি করে এখন প্রচুর টাকা আয় করেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কিডনি সরবারহ করেন দেন-দরবার করে, আর সে উপার্জিত টাকার পরিমানে বেশ সন্তুষ্টও বিকাশ। নিজের মূল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিকাশ আল জাজিরাকে বলেন, আপনার যদি টাকা থাকে এবং খুব দ্রুত একটি কিডনির প্রয়োজন পড়ে। আমি আপনার জন্য একজন দাতা খুঁজে দিব এবং এক মাসের মধ্যেই আপনি নতুন কিডনি নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবেন।’ বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার তথ্যানুযায়ী, দেহের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রথম কাতারেই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। এরমধ্যে ভারত আবার বিশ্বের সবচে’ বেশি কিডনি রপ্তানীকারক। প্রতি বছর ভারতের দুই হাজার নাগরিক তাদের কিডনি বিক্রি করেন। এমন সব তথ্য নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক পত্রিকা আল জাজিরা। প্রতিবেদনে কিডনি ব্যবসা নিয়ে বিস্তর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে মুম্বাই ভিত্তিক এজেন্ট আদর্শ বলেন, তার কাছ থেকে কানাডা, ইসরাইল, ব্রিটেন, সৌদি আরব, দুবাই এবং বাহরাইনের ক্রেতারা কিডনি কিনেন। তবে ভারতেও অনেক ক্রেতা আছে বলে জানান তিনি। মূত্রাশয় সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেড়েছে কিডনির সমস্যা, সেই সাথে বেড়েছে এর চাহিদাও। তবে দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সারা বিশ্বেই, কিছু সংস্কৃতিতে মরার পরেও দেহের অঙ্গ দানে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে এমন ব্যক্তিকে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিডনি দিতে চান সেটা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব। কিডনির চাহিদা এবং আইনি নিষেধাজ্ঞার এই ফাঁকের কারণে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ইরান হয়ে উঠেছে মানুষের অঙ্গ বিক্রির সবচেয়ে বড় কালো বাজার। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো হয়ে উঠেছে এই চক্রের নতুন কেন্দ্র এবং এখানেই কিডনি প্রতিস্থাপনের বেশিরভাগ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। শ্রীলঙ্কা সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিডনি পাচারকারী দলগুলোর একটির প্রধানকে ভারতে গ্রেপ্তারের পর ২০০৮ সালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আইন কঠোর করে ভারত। আর এরপরই শ্রীলঙ্কা পরিণত হয় মূল কেন্দ্রে। কিডনি বিক্রি চক্রের হোতাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান অনুরাগ। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, কলম্বোর বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক এজেন্ট। বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তাররাই। সম্পূর্ণ প্যাকেজের জন্য তাদের দাবি থাকে ৫৩ হাজার থেকে এক লাখ ২২ হাজার ডলার। এর মধ্যেই থাকে হাসপাতালের খরচ, ডাক্তারের বিল, দাতার টাকা, তার যাতায়াত এবং থাকার খরচ এবং দালালের কমিশনের টাকা। তার মতে, এটাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কারণ এভাবে কারোর সময় নষ্ট হয় না কিংবা শিকার হতে হয় না ভোগান্তির। ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কায় পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারণ ১৯৯০ সালের পর থেকেই এই অবৈধ ব্যবসা চলে আসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই ব্যবসাকে দিয়েছে নতুন গতি। কিডনি প্রতিস্থাপনের সমর্থনে বিকাশ এবং আদর্শের রয়েছে প্রায় এক ডজন ফেসবুক পেজ। এসব পেজের মাধ্যমেই চলে দাতা এবং ক্রেতার খোঁজ। যখনই কোনো দালাল এবং ক্রেতাদের চাহিদা মিলে যায় তখনই একটি লেনদেনের পর শুরু হয় কাজ। তবে এক্ষেত্রে অনেক গোপনীয়তা অবলম্বন করেন দালালরা। নিজের পরিচয় গোপন এবং ছদ্মবেশের মাধ্যমেই তারা এ কাজ করেন। আল জাজিরা যখন বিকাশের সাথে প্রথম যোগাযোগ করে তখন তিনি নিজেকে প্রিয়াংকা সিং বলে পরিচয় দেন। এই ছদ্মবেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন সুন্দর তরুণীদের বেশি বিশ্বাস করেন। এজন্যই এ পন্থা। তরুণীর পরিচয় দিলেও যখন ফোন আসে তখন আমিই ফোনটি রিসিভ করি এবং বলি ও আমার ছোট বোন। আগে আমি নিজেকে বিদেশি বলে পরিচয় দিতাম কারণ লোকজন মনে করত তারা একজন বিদেশির সাথে কথা বলছে সুতরাং তারা হয়তো বেশি টাকা পাবে।’ ‘তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রয়েছে কঠোর নজরদারি। আর এজন্যই আমি পাঁচ-ছয় সপ্তাহ পরপরই নাম পরিবর্তন করি এবং সেখানে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দেই। দেখা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়ার পরই আমি কারো সাথে দেখা করি। আমি এমন কোনো লোকের সাথেও যোগাযোগ করি না, যার সাথে আমার পূর্বে কথা হয়েছে। আপনিও পরের মাসে আমকে খুঁজে পাবেন না।’ -বলেন বিকাশ। দালালরা জানান, তারা সব সময় চেষ্টা করেন ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী অধূমপায়ী পুরুষদের জোগাড় করতে। কারণ তারা সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। যাদের পাসপোর্ট আছে তাদের অগ্রাধিকার আরো বেশি। যখন কোনো দাতাকে বিশ্বাস করা যায় তখন তাকে নিউ দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের পরিচিত প্যাথলজিতে পাঠানো হয় রক্ত এবং টিস্যু পরীক্ষার জন্য। এরপর ওই ল্যাব প্যাথলজি রিপোর্টগুলো আমাদের কাছে পাঠায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে তারা কলম্বোর ডাক্তারদের কাছেও সরাসরি পাঠিয়ে দেন রিপোর্টগুলো। চেন্নাইতে থাকা কেউ ওই পরীক্ষার টাকাগুলো পরিশোধ করেন। পরীক্ষার পর যদি সবকিছু মিলে যায় তবে ওই দাতার সাথে যোগাযোগ করে তাকে কলম্বো পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সবকিছু ঠিকভাবে পাওয়ার পর যদি পাসপোর্টের দরকার হয় তবে এমন লোকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়, যারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাসপোর্ট করে দিতে পারেন। প্রচুর টাকা আয়ের মাধ্যম বিকাশ জানান, অনেক সময় দাতাদের মুম্বাইতে নিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে তিনিই সকল কিছু করেন। দাতাদের সাথে তিনি বেশিরভাগ সময়ই নিউ দিল্লির রেল স্টেশনে দেখা করেন এবং সেখান থেকেই মুম্বাইয়ের ট্রেনে ওঠেন। তবে দাতা যদি নিরক্ষর হন তাহলে একা যেতে পীড়াপীড়ি করেন। বিকাশ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী আমি নির্ধারিত হোটেল কিংবা গেস্ট হাউজ কিংবা স্থানে রেখে রাখি আসি তাদের। আমার টাকা সবসময়ই রিসিপশনে রাখা থাকে। অনেক সময় হয়তো আইএসডি ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করি এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি এগিয়ে যাই এবং আমার কমিশনের টাকা গ্রহণ করি। তবে টাকা নেয়ার পর দাতার সাথে আমার আর দেখা হয় না। ওই দাতাকে অন্য কোনো এজেন্ট কলম্বোতে নিয়ে যান অপারেশনের জন্য। প্রথমবার যখন কিডনি দাতা পেয়েছিলেন বিকাশ তখন পেয়েছিলেন ২৫ হাজার রুপি কিন্তু এখন তিনি প্রতি দাতার বিনিময়ে পান ৫০ থেকে ৮০ হাজার রুপি। গত বছর তিনি আটজন দাতাকে পেয়েছিলেন এবং প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি রুপি আয় করেন। দালালদের তথ্যানুযায়ী, যেসব দাতাদের পাসপোর্টের খরচ দেয়া থাকে তাদের প্রায় চার লাখ রুপি দেয়া হয় অপারেশনের দুই দিন আগে। যাদের পাসপোর্ট দালালরা করেন তাদের দেয়া হয় তিন লাখ রুপি। দালাল এবং দাতা দুজনই কলম্বোতে খুব উচ্চ মানের হোটেলে থাকেন, যেখান আধা কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে তিনটি হাসপাতাল যারা এ কাজের সাথে যুক্ত। দাতারা সাধারণত ১৮ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাড়িতে ফিরতে পারেন। আদর্শ বলেন, একবার এক সার্জন আমাকে বলেছিলেন তিনি প্রতি অপারেশনের জন্য পান প্রায় তিন লাখ শ্রীলঙ্কান রুপি। তবে সিনিয়ররা এর চাইতেও বেশি নিতে পারেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের টাকা দেন যাতে তারা দেশে প্রবেশের সময় দাতাদের কোনো রকম প্রশ্ন না করেন। যদিও তাদের কাছে ভ্রমণ ভিসা থাকে, তবে কর্মকর্তারা জানেন এরা আসলে কিডনিদাতা। শ্রীলঙ্কায় এমন ঘটনা ঘটছে একথা জানার পর ২০১১ সালে দেশটি আইন করে বিদেশিদের শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের কিডনি নেয়া বন্ধ ঘোষণা করেন। শ্রীলংকায় যদি কোনো বিদেশি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে চান তবে সেক্ষেত্রেও আইন রয়েছে দেশটিতে। এক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতা উভয়কেই একই দেশের নাগরিক হতে হবে। তবে এরপরও খুব চাতুরতার সাথে শ্রীলঙ্কায় চলছে এ কাজ। বিকাশ বলেন, আপনার টাকার পরিমান যদি কম হয় আপনি পশ্চিম বাংলায় গিয়ে ১৭ লাখ রুপির মধ্যে এ প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন। সেখানে বেশ কিছু স্থানীয় এজেন্ট আছেন যারা নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে দাতা সংগ্রহ করেন। তবে আমি কখনোই এরকম চুক্তিতে যাই না কারণ আমার বেশি টাকার দরকার। টাকা আয়ের এত বেশি দরকার হলে তিনি সরাসরি শ্রীলংকায় গিয়ে কাজ করেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যে কমিশন পাই তার পরিমান বেশ ভালো। আমি কখনোই সেখানে যাব না, কারণ টাকা বেশি দিলেও আমি তাদের বিশ্বাস করি না। আমাকে দেখুন আমিও হয়তো ভালো একজন দাতা হব তাদের কাছে। তারা যদি আমার কিডনি নিয়ে নেয় তবে কি করব? উৎসঃ আল জাজিরা প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 26 Aug, 2016 .শিশু দুটির বয়স ছয় বছর। দুজনই এইডস রোগী। শিশুদের অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল ওষুধ (এআরভি) সরবরাহ নেই বলে এদের বড়দের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। ওষুধের সংকট হওয়ায় সরকারের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিচ্ছে। দুজন রোগী প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে তাঁদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এইচআইভি ও এইডস রোগীদের অবহেলার চোখে দেখেন বলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় ওষুধ ভান্ডার ও ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি একাধিকবার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার চেয়ে যাঁরা ওষুধ খাওয়ান বা যাঁরা কর্মসূচি পরিচালনা করেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করা ভালো।’ তিনি সংশ্লিষ্ট লাইন ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সরকারের এইচআইভি-এইডস-বিষয়ক কর্মসূচি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে এইচআইভি-এইডস রোগী সাড়ে তিন হাজারের কিছু বেশি। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫০ জনের জীবনদায়ী ওষুধ এআরভি দরকার হয়। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংখ্যায় তারতম্য দেখা দেয়। রোগীরা বিনা মূল্যে ওষুধ পায়। ওষুধ নেই: এইচআইভি ও এইডসে আক্রান্ত ৪০টি শিশু নিয়মিত ওষুধ নেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আশার আলো সোসাইটির কাছ থেকে। এসব শিশুকে তিন ধরনের ওষুধ দেওয়া হতো। গত জুলাই থেকে তা বন্ধ আছে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক হাবিবা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের উপায় নেই, তাই শিশুদের বড়দের ওষুধ দিতে বাধ্য হচ্ছি। ওষুধ না পেলে শিশুদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।’ তিনি বলেন, ৫০ মিলিগ্রামের ডিসপার্সএবেল ট্যাবলেট (পানিতে গুলে খাওয়ানো বড়ি) শিশুকে দেওয়া হতো। এখন বড়দের ওষুধ দিয়ে বলা হচ্ছে বড়ি ভেঙে অর্ধেক খাওয়ার জন্য। অন্যদিকে বড়দের সব ধরনের ওষুধের সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন হাবিবা আক্তার। তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০ জনকে দ্বিতীয় ধাপের (সেকেন্ড লাইন) ওষুধ দেওয়া হতো। প্রথম ধাপের কিছু ওষুধ এদের শরীরে কার্যকর না। সরবরাহ না থাকায় আগস্টের শুরু থেকে আর ওষুধ দিতে পারছেন না। এঁদের একজন ৫০ বছর বয়সী মানিকগঞ্জের এক বাসিন্দা। ২২ আগস্ট তাঁর সঙ্গে কথা হয় আশার আলো সোসাইটির কার্যালয়ে। তিনি এসেছিলেন ওষুধ নিতে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ২০০৪ সালে তাঁর এইডস শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়ার পর আশার আলো সোসাইটির সদস্য হন। এবং নিয়মিত ওষুধ নিতেন। ২১ দিন ওষুধ না পেয়ে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি কর্মকর্তারা আন্তরিক হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সব পক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। কেন এমন হলো: হাবিবা আক্তার বলেন, দেশে কত এইচআইভি ও এইডস রোগী তার হিসাব আছে। কত ওষুধ দরকার, কবে কোন ওষুধ শেষ হচ্ছে, সেই হিসাবও সরকারের কাছে আছে। এসব রোগী নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাগজপত্রে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সাত ধরনের ওষুধ কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগার। দুটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশও দিয়েছিল। কিন্তু সেই ওষুধ এখনো কেনা হয়নি। অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসটিডি ও এইডস কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুই হাজার রোগীর ওষুধ কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলাম কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে। তারা সময়মতো ওষুধ কিনতে পারেনি বলে এই পরিস্থিতি হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক (ভান্ডার ও সরবরাহ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. পারভেজ কবীর বলেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ওষুধ কিনতে দেরি হয়েছে।’ আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দরপত্রে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোকে সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটি ‘অনুপোযুক্ত’ ঘোষণা করায় ওষুধ কিনতে দেরি হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এসএস সায়েন্টিফিক ওষুধ সরবরাহের কাজ পেয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়েজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে কার্যাদেশ দিয়েছে দেরি করে, তাই ওষুধ সরবরাহ করতেও দেরি হচ্ছে। তবে আমাকে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে যায়নি।’ ঝুঁকি: হাবিবা আক্তার বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ২০০ রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয়। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পান। ইতিমধ্যে ৭০ জনের ওষুধ ২১ দিন ধরে বন্ধ আছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে ওষুধ না পেলে আরও ৩৫০ জনের ওষুধ পাওয়া বন্ধ হবে। বিষয়টিকে বিপজ্জনক মন্তব্য করে বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বড়দের ওষুধে শিশুদের শরীরে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর ওষুধ বন্ধ রাখলে ভাইরাস হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। পরে ওষুধ দিলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ: রাজধানীর মহাখালীতে সরকারের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ৫৮ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসব রোগীর অধিকাংশ আগে আশার আলো সোসাইটি, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ ও ক্যাপ নামের তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিতেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল থেকে কয়েকজন রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোর কাছে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, ওষুধ বন্ধ রাখার চেয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া ভালো। এই হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নেন এমন দুজন রোগী বলেছেন, তাঁদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। একজন ১২ দিন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়ার পর বন্ধ রেখেছেন। তিনি বলেছেন, সারা শরীরে অ্যালার্জির মতো দেখা দেওয়ায় ওষুধ বন্ধ রেখেছেন। এখন কী করবেন দিশা পাচ্ছেন না। উৎসঃ প্রথম আলো প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সামনে তো এগোতেই হবে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম [email protected] সামনে তো এগোতেই হবে 06 November 2014, Thursday বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাওয়াটা কখনো খুব আনন্দের ব্যাপার নয়। ব্রাসেলসে অথবা বোস্টনের বিমানবন্দরে আপনি ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার আগে অন্য দেশের নাগরিকেরা দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আপনার সময় এলে নির্ঘাত আটকে যাবেন। আপনার পাসপোর্ট উল্টেপাল্টে দেখবে ইমিগ্রেশন কর্তা, চোখ ছোট করে দেখবে, আপনার দিকে তাকাবে এমন কঠিন দৃষ্টিতে, যেন আপনি জেল পালানো কোনো আসামি। প্রশ্ন করবে গায়ে হুল ফোটানো। একসময় শুধু সন্দেহ করবে, এ লোককে ঢুকতে দিলে আর বেরোবে না। গত ১০ বছরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উগ্রপন্থার সন্দেহ। আপনাকে দেখবে ওই কর্তা আর ভাববে, এ লোকের প্যান্টের পকেটে নিশ্চয় বোমা আছে। খুঁজে দেখতে হবে। এই চিত্র মোটামুটি মাকাও, মাল্টা অথবা মুসলিম উম্মাহর সব দেশেই। তবে এসব দেশে দেখানো হয় তুচ্ছতাচ্ছিল্য। দোহা আর কুয়ালালামপুরে নিজের চোখে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন লাইন থেকে আলাদা করে একটা জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখার দৃশ্য দেখেছি, যেন এরা ইবোলা ভাইরাস নিয়ে ঢুকে পড়ছে। তার পরও বিদেশে বাংলাদেশিদের কাফেলা থেমে থাকেনি। বৈধ-অবৈধ উপায়ে প্রতিদিন পাড়ি দিচ্ছে শয়ে শয়ে তরুণ। থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ‘আধুনিক’ ক্রীতদাস প্রথার শিকার বাংলাদেশিদের খবর নিয়ে কিছুদিন আগে খবরের কাগজে হইচই হয়েছে; মালয়েশিয়ার পাম সাম্রাজ্যে আমাদের তরুণদের বন্দী হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। আফ্রিকার নানা দেশ পাড়ি দিয়ে মরক্কো অথবা তিউনিসিয়ার কোনো বন্দর থেকে পাচার হয়ে ইতালি অথবা সাইপ্রাসে পাড়ি দিতে গিয়ে ধরা পড়া বা প্রাণহানির খবরও মাঝেমধ্যে আমরা পাই। এসব পড়ে চোখ ভিজে যায়, কিন্তু এসব তরুণের সামনে কোনো বিকল্প যে থাকে না! কষ্টটা গভীর হয়, যখন দেখি এদের বা এদের পরিবারগুলোর পাশে কেউ দাঁড়ায় না, না বিদেশে আমাদের দূতাবাস বা মানবাধিকার নিয়ে প্রতিদিন গর্জন তোলা বিশ্বের ছোট-বড় সংস্থাগুলো। বাংলাদেশের কোনো তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে শ্রমিক মারা গেলে আমরা যখন এর প্রতিবাদে এবং নিহতদের পরিবারগুলোর সাহায্যের জন্য পথে নামি, তখন এসব সংস্থাও সরকারকে চাপ দেয়, কিন্তু তা কতখানি পুঁজি রাজনীতি আর কতখানি প্রকৃত মানবাধিকারপ্রেমে, তা বুঝতেও আমাদের বেশি দিন লাগে না। সবচেয়ে ভালো হতো যদি বিদেশে কঠিন পরিবেশে অল্প দামে শ্রম বিক্রি করতে আমাদের তরুণদের যেতে না হতো। ভালো হতো যদি তারা সাদা কলারের চাকরি নিয়ে যেত—পেশাজীবী, পরামর্শক, তত্ত্বাবধায়ক অথবা অর্থলগ্নিকারী হিসেবে যেতে পারত। এ রকম যারা যায়, যাদের বেশির ভাগ পশ্চিম অথবা পশ্চিমসম চীন অথবা সে রকম দেশের। সাদারা মধ্যপ্রাচ্যে রাজার সম্মান পায়, তাদের জন্য কোনো পান থেকে একটুখানি চুনও খসে না, যে যা হোক, কিন্তু আমরা কুর্নিশ না হোক, একটুখানি অনিরসবদন অভ্যর্থনা পেলেই খুশি হই। সেই অবস্থায় আমরা পৌঁছাতাম যদি একটি দালানের নির্মাণশ্রমিক না হয়ে আমরা এর স্থপতি হতাম, যদি একটি বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী না হয়ে আমরা এর পরিচালনার দায়িত্বে থাকতাম। সেটি যে একেবারে হচ্ছে না তা নয়, তবে কম পারিশ্রমিকের বেশি পরিশ্রমের কর্মীদের স্রোতের পাশে তা চোখে না পড়ার মতোই ফোঁটা ফোঁটা কিছু ব্যতিক্রম। কেন বিদেশে কাজ নিয়ে যেতে হয় তরুণদের এবং আর তরুণ নন এমন বয়সীদের? কারণ, দেশে পর্যাপ্ত ও পছন্দের কর্মসংস্থান নেই। থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো পেতে হলে পয়সা ঢালতে হয়, ছোট-বড় নানান কর্তার তালু তৈলাক্ত করতে হয়। প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের নানা জায়গায় কাজ করছে। তাদের একটা অংশ পশ্চিমে অভিবাসী স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু বেশির ভাগ বিভিন্ন মেয়াদে নানা দেশে শ্রম দিচ্ছে। তাদের জীবনটা কষ্টের। আমরা তা স্বীকার করি, সমবেদনা জানাই কিন্তু তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করি না। আমরা তাদের পরিসংখ্যানের মর্যাদা দিয়েছি, তারা যে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছে, তা আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করি, কিন্তু তাদের প্রকৃত সামাজিক মর্যাদা দিইনি। তারা দেশের বাইরে যাওয়ার সময় বা দেশে ফেরার সময় মর্যাদার আচরণ পায় না, হেনস্তার শিকার হয় অনেক সময়। আমরা ধরে নিতে পারি, বিদেশে চাকরির খোঁজে তরুণেরা চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তাহলে কি অবস্থা এ রকমই চলবে? বর্তমানের গল্পগুলো ভবিষ্যতেও শুনতে হবে? তাদের পরিসংখ্যানগত মর্যাদা হয়তো আরও বাড়বে। কিন্তু প্রকৃত মর্যাদা কি তারা পাবে বা তাদের শার্টের কলার নীল থেকে সাদা হতে পারবে? পারে এবং এই পারাটা যে খুব সুদূরবর্তী, তা-ও নয়। কাজটা কঠিন, পথটা বন্ধুর, কিন্তু অসম্ভব নয়। দুটি উদাহরণ দেওয়া যাক। ইংল্যান্ডে যেসব অভিবাসী এক প্রজন্ম আগেও রেস্টুরেন্টে, বাসের বা রান্নাঘরে পেঁয়াজ-আনাজ কাটত, তাদের সন্তানেরা এখন অনেকেই ডাক্তার-ব্যারিস্টার। কীভাবে? তাদের শিক্ষার পেছনে বিনিয়োগ করেছে পরিবারগুলো। ইংল্যান্ডে এটি অবশ্য কঠিন নয়, কিন্তু অন্যত্র? দ্বিতীয় উদাহরণটি মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে। একটি ছেলে হোটেলে সামান্য বেতনে চাকরি করত। অথচ বিএ পাস। একসময় সে সিদ্ধান্ত নিল ইংরেজিটা শিখতে হবে। অদম্য ছেলে, কাজে নেমে পড়ল। ইংরেজি শিখতেই বেতনের একটা অংশ চলে গেল। সঙ্গে আরবিটাও শিখল বিনা পয়সায়, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে, এখন সে আরেকটা হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে চাকরি করে। ছেলেটি ভাগ্যবান, তাকে সাহায্য করেছেন আল-জাজিরা টেলিভিশনের এক সাংবাদিক। এই সাহায্যটা অর্থাৎ কর্মভিসাসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন সরকারি উদ্যোগেও করা যায়, যদি সরকার আন্তরিক হয়। দুটি উদাহরণ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় পাওয়া। এ দুই ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক শিক্ষা ও উদ্যম। আরেকটি হলো সহায়তা। প্রথম উদাহরণে পরিবার, দ্বিতীয়তে সাংবাদিক। যদি শিক্ষা ও সহায়তার দায়িত্বটা কেউ নেয়, উদ্যমের সমাবেশ ঘটানো কোনো ব্যাপারই নয়। আমাদের তরুণেরা পরিশ্রমী, উদ্যমী, অদম্য। সেই উদ্যম-পরিশ্রমের আগে যদি সমাজ-সরকার-রাষ্ট্র নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা দেয়, তাহলে দুয়ে দুয়ে চার না হয়ে পাঁচ হতে সময় লাগবে না। অঙ্কের এই হিসাবটা মোটেও গোলমেলে নয়। প্রথম আলোর ৩ নভেম্বর সংখ্যায় একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে ১৯৭১ থেকে নিয়ে সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিষয়ে। এই অগ্রগতি অঙ্কের হিসাবকে লজ্জা দিয়েছে। আমি যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই, আমার চোখে হতাশার চিহ্নগুলো প্রবল হয় না, আমার চোখে ধরা পড়ে অঙ্কের তামাশা করা নানান অর্জন। কত প্রতিকূলতাকে জয় করে তরুণেরা দাঁড়াচ্ছে নিজেদের পায়ে, মেয়েরা যাচ্ছে স্কুলে, নামছে কাজের জটিল সব ক্ষেত্রে। কত না বিভাজন আমাদের সমাজে, ওদিকে আমাদের রাজনীতি হিংসা-বিদ্বেষ শেখায়। উগ্রবাদী দলের ঝান্ডার নিচে বোমার কারিগর বানানো হয় পথভ্রষ্ট তরুণদের। উচ্চফলনশীল দুর্নীতির চাষি ও ঠিকাদারেরা দাপিয়ে বেড়ান সর্বত্র। তার পরও এই দেশটা একটা উৎসবের উপলক্ষ পেলে এক হয়ে যায়—পয়লা বৈশাখে বা বাংলাদেশ ফুটবল বা ক্রিকেট দল বড় কোনো জয় পেলে। এই ঐক্যটা অনেক গভীর। রোগ সাময়িক, স্বাস্থ্যটা স্থায়ী অথবা সে রকম হওয়ারই কথা। স্বাস্থ্যটা তাহলে কীভাবে ধরে রাখা যায়? উত্তরটা সহজ—শিক্ষা দিয়ে। সনদমুখী, বাজারমুখী শিক্ষা নয়; প্রকৃত, সংস্কৃতিনির্ভর ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা। এ জন্য শিক্ষায় চাই প্রচুর বিনিয়োগ। স্বল্প মেয়াদে, যারা বিদেশে কাজ নিয়ে যেতে চায়, তাদের ভাষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হোক। ব্যাপকভাবে, আন্তরিকতার সঙ্গে। দীর্ঘ মেয়াদে, যদি বিশাল বিনিয়োগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায়, তাহলে সেই শিক্ষা নিয়ে যারা বিদেশে যাবে, তাদের কুর্নিশ না জানালেও অভিনন্দন জানাবে বিদেশের অভিবাসন কর্তারা। ২ প্রথম আলোর ৩ নভেম্বরের প্রতিবেদনটা নতুন খবর নয়, তবে দেশকে নিয়ে যাঁরা হতাশ হতে ভালোবাসেন, তাঁদের চমকে দেওয়ার মতো। এসব পরিসংখ্যানের পেছনে আছে ওই উদ্যম, পরিশ্রম, সামাজিক বিনিয়োগ, নানান কর্মী-পরিবর্তনপ্রত্যাশী মানুষের বিনিয়োগ। সরকার আছে সেখানে। কিন্তু তারা যদি আরও সক্রিয় হতো, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াবাদী না হতো, অর্জনটা আরও বড় হতো। কিন্তু এই অর্জনের গল্প তো শেষ হয়নি, শুরু হলো মাত্র। এখনো যদি সবাই পরিবর্তনের জন্য প্রত্যয়ী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, অর্জন হবে আকাশছোঁয়া। এই অর্জন দাবি করতেই পারে আমাদের স্বপ্ন দেখা তরুণেরা। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উৎসঃ প্রথমআলো পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Sep, 2016 তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয় 10 Jul, 2015 সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে 13 Nov, 2014 আপনাকে অভিবাদন, স্যার 19 Oct, 2014 গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক 30 Aug, 2014 অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক 21 Jul, 2014 শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় 07 Jun, 2014 প্রশ্নপত্র ফাঁস, না শিক্ষার গলায় ফাঁস? 12 May, 2014 সরকারের নারায়ণগঞ্জ পরীক্ষা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 02 Nov, 2015 ফজলুল বারী॥ কোনও কিছুতেই মন্ত্রিত্বের সমস্যা হচ্ছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর! লজ্জাও নেই যে পদত্যাগ করবেন। অথবা কোমরে জোর নেই যে ব্যর্থতার জন্য পদচ্যুত করবেন পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজিকে! চুরি-ডাকাতি-টেন্ডারবাজি না, শুধু লেখার জন্য দেশের প্রতিভাবান প্রজন্মদের জবাই করছে মারছে একদল অসভ্য ধর্ম ব্যবসায়ী কসাই। একেকটি ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্লজ্জের মতো কী বলেন না বলেন, এগুলোর কোনও আগা নেই-মাথা নেই! একবার বলেন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড! এরপরই আবার বলেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা! দেশের অবস্থা ভালো, খুব ভালো ইত্যাদি! একটা দেশে লেখার জন্য মানুষ খুন করা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা ভালো, খুব ভালো অবস্থা মনে হয়? না লেখক-ব্লগার জবাইকৃত অবস্থায় মরলে ভালো দেখায় দেশের অবস্থা? পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয় কী করে? আর কতোগুলো এমন ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ঘটলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মনে হবে অনেক জারিজুরি দুই নাম্বারি বক্তব্যতো দিয়েই গেলাম, এবার আমি যাই! যদিও এটা কোনও দিনও বাংলাদেশে হবে না। এখানে সবাই নিজেদের খুব দক্ষ-প্রয়োজনীয় ভাবেন! মনে করেন তিনি চেয়ারে না থাকলে দেশটা রসাতলে চলে যাবে! শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে যে আওয়ামী লীগ দলটার সাতখুন আমাদের কাছে মাপ, সে দলের আরেক প্রতিভা(!) মাহবুবুল আলম হানিফ! একদার কুষ্টিয়াবাসী নেতাটি আজ কিসের গুণে দলের মুখপাত্র, কিসের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিতাড়িত সে দিকে আজ গেলাম না। ইনি আজ কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে এক শোকার্ত পিতার কুষ্ঠি ধরে টান দিয়েছেন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামখ্যাত একজন অধ্যাপক, তার লেখালেখিসহ নানা কিছুতে সারাজীবন যিনি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা, নিহত সন্তান লেখক-প্রকাশক দীপনের লাশ কবরে রেখে আসতে না আসতে তার শোকার্ত পিতাকে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর লোক বলে দিলেন আওযামী লীগের মুখপাত্র? একজন শোকার্ত পিতা কোন অসহায়্ত্ব থেকে বলেছেন তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান না তা বোঝার সক্ষমতা থাকলে হানিফ সাহেবের নামের আগে অধ্যাপক বিশেষণটিও হয়তো থাকতো। বিচার চাইলেই কী তারা বিচার করেন? অভিজিত রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায় সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে কত কাঁকুতিই না করেছেন! তার সন্তানের খুনিদের বিচার করেছেন? সাগর-রুনি হত্যার বিচার করেছেন? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সোচ্চার শিক্ষকদের অন্যতম অজয় রায়কে অপমান করেছে কে? অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারকে অপমান-সিলেট ছাড়া করার মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছে কে? হানিফ সাহেব আজ ক্ষমতার গুণে আপনার কত টাকা তা হয়তো আপনি নিজেও হিসাব করে বলতে পারবেন না। আর অজয় রায়, আবুল কাসেম ফজলুল হক স্যাররা সন্তানহারা। সন্তানের লাশের বিনিময়ে তারা আপনাদের কাছেতো টাকা-চেক কিছুই চাননি। একজন সন্তানহারা পিতাকে তার মতো করে কথাও বলতে দেবেন না? এমন একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ যদি মাহবুবুল আলম হানিফকে মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতো তাহলে ভালো করতো। ব্লগার রাজীব হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসায় ছুটে গিয়েছিলেন। এখন আর কেন যান না তা সবাই বোঝেন। নিহত লেখক-ব্লগারদের শোকার্ত পরিবারের পাশে গিয়ে এখন আর দাঁড়ান না কোনও মন্ত্রীও! এরা প্রতিদিন কত জায়গায় যান তবুও কেন জবাইকৃত লেখক-ব্লগারদের রক্তাক্ত লাশ কায়দা করে এড়িয়ে যান, এর মাধ্যমে ব্লগারদের খুনিরাও বুঝি একটি বার্তা পেয়ে গেছে! তারা বুঝে গেছে তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের মানসিকতা কমজোরি! দীপন হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে হাসপাতালে গেছেন তার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। এরসঙ্গে সবাই যদি দেখতে পেতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, র‌্যাবের ডিজি এদেরকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধাতানি দিয়ে বলা হয়েছে এসব থামাতে না পারলে বিদায় হন, তাহলে অন্তত সাধারণ মানুষের কাছে একটা বার্তা যেত সরকার এসব বন্ধে আন্তরিক। র‌্যাব সুন্দরবনের ডাকাতসহ কতজনকে ক্রসফায়ারের নিয়ে যায়! আর ব্লগারদের খুনিরা পায় জামাই আদর! এসবের বার্তা তারা পায় বলেইতো খুনির দল শুধুই বেপরোয়া প্রতিদিন! পোস্টমোর্টেমের ডাক্তার বলেছেন- দীপনের খুনিরা উপুড় হয়ে বসে তাকে খুব যত্মের সঙ্গে(!) ঘাড় কেটেছে! যাতে পাঁচ মিনিটের মধ্যে মারা যায়! আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন বিলকুল ঠিক হ্যায়! আমাকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আজ লিখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘাড়ের স্বাস্থ্য কী রকম বেড়েছে দেখেছেন? তারতো সবকিছুতে ‘বিলকুল ঠিক হ্যায়’ মনেই হবে। আজকের ব্লগার-লেখক-প্রকাশক খুনের উল্লাসের নৃত্যের পেছনে কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গণজাগরণ মঞ্চ। দুনিয়ার প্রথাবিরোধী লেখকদের মতো বাংলাদেশের প্রথাবিরোধীরাও ব্লগে লেখালেখি গত দুই-তিন বছরে হঠাৎ করেই শুরু করেননি। এক সময় প্রথাবিরোধীদের মত প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল লিটল ম্যাগাজিন। ইন্টারনেটের যুগের কারণে সেখানে ব্লগ এসেছে দাপটের সঙ্গে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিশেষ করে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ব্লগারদের উদ্যোগে শাহবাগের ছোট্ট প্রতিবাদের পেছনে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিশেষ করে করে তরুণ প্রজন্মের ঢল নামলো তখন মাথা খারাপ হয় যুদ্ধাপরাধী, ধর্মব্যবসায়ী আর তাদের দোসরদের। ওই পরিস্থিতিতে বিব্রত খালেদা জিয়া তার বেশকিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করেন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও শাহবাগে ঢুকতে কম কসরত করেননি। তারা অনুনয় বিনয় করে বলেছেন গণজাগরণ মঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কর্মসূচির বিষয়টিও যেন সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ অংক পরীক্ষার দিন শুধু অংক পরীক্ষাই দেব বলে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ছাড়া আর কোনও কর্মসূচিতে যেতে রাজি হলো না তখন খালেদা জিয়া রেগেমেগে শাহবাগে কিসের গণজাগরণ, সেখানে তো নাস্তিকদের মেলা বসেছে, সেখানে তারা গাঁজা খায়-বেলেল্লাপনা করে বলেছিলেন তা নিশ্চয় সবার মনে আছে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছেলেমেয়েদের ঢালাও নাস্তিক বলে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধদের শুধু উস্কেই দেননি খালেদা জিয়া। এরপর জামায়াতের বদলে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছেন হেফাজতকে। হেফাজত যখন সরকারি ঘুষ হিসেবে রেলের জমি পেয়ে ঘরে ঢুকেছে তখন ব্লগারদের খুনের মিশনে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের আরেক গলাকাটা উইং! বাংলাদেশের কিছু টকশো তারকা, কিছু পত্রিকা ব্লগারদের বিরুদ্ধে ধর্ম ব্যবসায়ীদের উস্কে দিয়েছে। কাজেই এসব খুনোখুনি বন্ধ করতে চাইলে যৌথ অপশক্তিগুলোর একটাকেও হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না। আর সরকারি নেতাদের এলোপাতাড়ি ফাউলটক বন্ধ করতে হবে। আইজিপি-র‌্যাবের ডিজি-গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের ডেকে সময় বেঁধে দিয়ে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিন। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে তাদের বিদায় করেন। লিখলে বই ছাপলে খুন হতে হয় এমন অস্বস্তিকর কলঙ্ক থেকে মুক্তি দিন মুক্তিযুদ্ধের অর্জন বাংলদেশকে। প্লিজ সিরিয়াস হোন। দেশের মানুষ কিন্তু এ ইস্যুতে আপনারা সিরিয়াস নন এমন ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: আপেল রাজ্যে একদিন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার আপেল রাজ্যে একদিন 08 October 2016, Saturday গ্রিক, রোমান, নর্স পৌরাণিক ও লোক কাহিনিতে আপেলের নাম পাওয়া যায় অমরত্বের ফল হিসাবে। বলা হয় দেবদেবীদের ফল। আবার নিষিদ্ধ ফল হিসেবেও আপেলের নাম শোনা যায়। আদি মানব আদম শয়তানের প্ররোচনায় যে নিষিদ্ধ ফল ‘গন্ধম’ খেয়েছিলেন, বলা হয়ে থাকে সেটিও আপেল। প্রচলিত কাহিনি হচ্ছে, বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে চিন্তাভাবনা করতে করতে বিজ্ঞানের অমর একটি আবিষ্কার করে ফেলেন। নিউটন সাহেব সেদিন আপেল গাছের নিচে বসেছিলেন বলেই নাকি আবিষ্কার হয়েছিল ‘মধ্যাকর্ষণ শক্তি’। তবে বিজ্ঞানের নতুন কোন আবিষ্কারের আশায় নয়, কেবল গাছ থেকে নিজ হাতে আপেল ছিঁড়ে খাওয়ার আনন্দ পেতেই আমাদের যাত্রা ফিশকিল ফার্মের উদ্দেশ্যে। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আপেল পিকিং বা আপেল তোলার মৌসুম শুরু হয় অগাস্টের শেষ দিক থেকে। তবে জোরেসোরে শুরু হয় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। চলে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত। এই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফার্মে রীতিমতো উৎসব চলে। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ফার্মের আপেল বাগানে গিয়ে, নিজ হাতে আপেল সংগ্রহ করার এই উৎসবে যোগ দেন। কেবল গাছ থেকে আপেল ছিঁড়ে খাওয়া নয়, ইচ্ছামতো ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া যায় বাড়িতে। গাছ থেকে পেড়ে খেতে টাকা দিতে হয় না। তবে বাড়ি নিয়ে যেতে, ওজন করে গুনতে হবে গাটের ডলার। আমাদের গাড়ি ছুটে চলেছে ফিশকিল ফার্মের দিকে। গাড়ি চালাচ্ছেন সাংবাদিক মঞ্জু ভাই। সঙ্গী সাথিদের মধ্যে রয়েছে আমার সাংবাদিক স্বামী শামীম আল আমিন, কন্যা অপর্ণা আর টিবিএন টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন রফিক ভাই। গাড়ির মধ্যেই তখন হইহুল্লোড় আর আড্ডা জমে উঠলো। নিউ ইয়র্কের আপস্টেটে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ফার্মটির ছবি দেখেছি ইন্টারনেটের সুবাদে। তথ্য ঘেটে জানলাম নিউ ইয়র্ক থেকে ৭১ মাইল দূরের এই ফার্মটি যুক্তরাষ্ট্রের সেরা দশটি ফার্মের একটি। ফলে বাড়তি রোমাঞ্চ বোধ করছি। শহর ছেড়ে আমাদের গাড়ি তখন বহুদূর। পাহাড়ি পথে উঠে গেছে। মসৃণ রাস্তায় এমনভাবে গাড়ি চলছে, যেন উড়ছে। আঁকাবাকা পথ কখনো উঠে যাচ্ছে উপরে, কখনো নেমে যাচ্ছে নিচে। কখনো মনে হচ্ছে, এই বুঝি আকাশের বুক চিরে ঢুকে যাবে ভেতরে। রাস্তার দু’পাশে কখনো মানুষের বাড়িঘর, কিছু কিছু খাবারের দোকান। তবে বেশিরভাগ চোখে পড়লো দিগন্তবিস্তৃত ফসলি মাঠ। কোথাও উপত্যকা মিশেছে লম্বা একটি লেকে। ঝকঝকে আকাশ, তাই মেঘেদের খেলা নেই। সবুজের সমারোহে আমি যেন এক আগন্তুক! একসময় আমাদের গাড়ি এসে থামলো ফিশকিল ফার্মের প্রধান ফটকে। ভেতরে গাড়ি ঢুকিয়ে নিরাপদ জায়গাতে পার্ক করলেন মঞ্জু ভাই। গাড়ি থেকে নেমে চোখ দুটো জুড়িয়ে গেল। থরে থরে সৌন্দর্যের পসরা। একপাশে কাঠ দিয়ে বানানো অভ্যর্থনা রুম। তার পাশে কাঠের বেঞ্চি আর টেবিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বসার জায়গা। ছোট্ট সুন্দর একটি খাবারের দোকান চোখে পড়লো। কাঠ দিয়ে বানানো। পাশে বড় একটি গুদামের মতো জায়গা। আধুনিক কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়লো। নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করছেন। পোশাকে আশাকে ইংরেজি কোন চলচ্চিত্রের দৃশ্য যেন। ট্রাকটরের মতো গাড়ির ছোটাছুটি। যত দূর চোখ যায়, কেবল বাগান আর সবজি উদ্যান। একরের পর একর। কোথাও সমতল, কোথাও পাহাড়ি-উঁচুনিচু। আমরা সবাই মিলে ঢুকে পড়লাম অভ্যর্থনা কক্ষে। সেখানে সহাস্যে একজন বয়স্ক নারী আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। আপেল পিকিংয়ে এসেছি শুনে আমাদের দিকে বাড়িয়ে দিলেন কয়েকটি পলিথিনের লম্বা ব্যাগ। ফার্মে ঢোকার জন্যে ফিস দিতে হয় জনপ্রতি ৫ ডলার করে। অজ্ঞাত কোন কারণে আমাদের কাছ থেকে সেই অর্থ নেয়া হলো না। তিনি আমাদের জানালেন, আপেল ছাড়াও আমরা তরমুজ, স্ট্রবেরি তুলতে পারি। আছে হরেক রকম সবজি। ক্ষেত থেকে তুলতে পারি সেগুলোও। মাথার উপর গনগনে সূর্য। প্রচণ্ড খরতাপে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এখানে গরমটা একটু বেশিই লাগছে। আমরা পায়ে হেঁটে রওয়ানা হলাম আপেল বাগানের দিকে। বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই, যেখানে আপেল পাওয়া যায় না। সব ফলের মধ্যে আপেলই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ফল। কেবল আপেলকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে বছরে কয়েক হাজার কোটি ডলার বাণিজ্য হয়। ইউরোপ আমেরিকা আপেলের দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও জানিয়ে রাখি এই ফলটির আদি নিবাস হচ্ছে এশিয়া। কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান ও কাজাকিস্তানে আপেলকে ‘আলমা’ নামে ডাকা হয়। ধারণা করা হয়, এই আলমা থেকেই এসেছে আপেল। ইউরোপে আপেল ছড়িয়েছে মহাবীর আলেকজান্ডারের মাধ্যমে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সালে তিনি মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ জয় করে ফেরার সময় বেশ কিছু আপেল গাছ সঙ্গে করে নিয়ে যান। সেগুলো রোপণ করেন গ্রিসে। আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সেখানে দ্রুত গাছটির বিস্তার ঘটে। সেখান থেকেই ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে সুস্বাদু ফলটি। তবে উত্তর আমেরিকায় আপেল ঢোকে ১৬০০ সালের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৬২৯ সালের দিকে। বোস্টনে এই ফলের বীজ প্রথম রোপণ করার ১০ বছর পর ফল আসে। আমেরিকার ওয়াশিংটনে ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষাবাদ শুরু হয়। এরপর গোটা আমেরিকা জুড়ে আপেলের প্রচুর চাষাবাদ হয়। কিন্তু এরপরও এই দেশটি কিন্তু আপেল উৎপাদনে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রথম স্থানে আছে চীন। বিশ্ব উৎপাদনের ৩৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। সাড়ে সাত শতাংশ আপেল জন্মে যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, রাশিয়া, জার্মানি, ইরান ও ভারতে আপেলের প্রচুর চাষাবাদ হয়। চোখের সামনে সারি সারি আপেল গাছ। আর তাতে থোকায় থোকায় আপেল ধরে আছে। একপাশে সবুজ আপেল অন্যপাশে, লাল। অপর্ণা খুশিতে হাতে তালি দিয়ে উঠলো। শুরু হলো তার ছোটাছুটি। আমি একটা আপেলের গায়ে হাত রাখলাম। এই প্রথম গাছ থেকে আপেল ছিঁড়ে খাওয়ার অনুভূতি পেতে যাচ্ছি। শিহরিত হয়ে উঠলাম। ছেঁড়া হলো। আহা কি রসালো আপেল। কি-না তার স্বাদ। চোখ দুটো বুজে এলো। বলা হয়ে থাকে ‘অ্যান অ্যাপেল এ ডে, কিপস দ্য ডক্তর অ্যাওয়ে’। অর্থাৎ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগব্যাধি এত দূরে থাকে যে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না। কথাটা হঠাৎ মনে পড়ে গেল। সবাই মিলে আপেলের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। খুব পরিকল্পনা করে আপেল গাছগুলো লাগানো হয়েছে। আকারে মাঝারি এবং উপরের দিক ছাতার মতো ছড়ানো। উচ্চতায় ৬-১৫ ফিটের মতো হবে। তবে শুনেছি, বন্য আপেল গাছ উচ্চতায় ৩০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপেল গাছের পাতা উপবৃত্তাকার ও সবুজ। ইন্টারনেট ঘেটে জেনেছি, একটি পুষ্পদণ্ডে আপেলের মোট পাঁচটি ফুল জন্মে। ফুলের রঙ গোলাপী। আর ফুলের পরাগায়ণ ঘটে থাকে মৌমাছির মাধ্যমে। তবে উন্নত দেশে নিশ্চয়ই এর বাইরে নানা প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। ইচ্ছামতো ছবি তোলা হলো। সেই সঙ্গে আপেল তোলা ও খাওয়া। আমাদেরকে দেয়া ব্যাগগুলো ভরে উঠলো। আপেল বাগান থেকে আমরা গেলাম পাশের তরমুজ ক্ষেতে। সেখানে তরমুজ পেকে ফেটে ফেটে আছে। গাছ থেকে ছিঁড়ে এবার চললো তরমুজ খাওয়া। হাতে গায়ে লেগে গড়িয়ে পড়ছে তরমুজের রস। তবে এই স্বাদের কোন তুলনা হয় না। সবজি বাগানে কাটলো আমাদের অনেকটা সময়। এরপর যা কিছু তোলা হয়েছে, মিটিয়ে দেয়া হলো দাম। সময় গড়ায় তার নিজস্ব নিয়মে। সময় হয়ে আসে বাড়ি ফেরার। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। আমার ছোট্ট মেয়েটা যেভাবে প্রজাপতির মতো পাখনা মেলে ছোটাছুটি করছে, তাতে তাকে কীভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো, সে এক ভাবনা। তবুও যেতে হয়। অনিচ্ছার পর, সকলে উঠে বসলাম গাড়িতে। পেছনে ফিরে দেখলাম ফিশকিল ফার্মটাকে। আহা কি সুন্দর। আবারও আসবো। লেখক: ইয়োগা আর্টিস্ট, লেখক ও উপস্থাপক। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ঘাড়, পিঠ ও হাতে অসহ্য যন্ত্রণার কুকড়ে গিয়েছে এক কিশোরী! মায়ের হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে কোনরকমে হাসপাতালে এসেছেন। অন্যদিকে মাত্র ২১ বছর বয়সি এক যুবক পা মাটিতে ফেলতে পারছেন না। হাত দিয়ে মুখে খাবার তুলতে পারেন না। পরিবারের অন্যরা খাইয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা এভাবেও বলা যেতে পারে ‘পঙ্গুত্ব’ গ্রাস করেছে ওই যুবককে! এই সমস্যা শুধু ঐ দুজনের নয়, পরিসংখ্যান বলছে লাখে লাখে মানুষ ভুগছেন নতুন এই অসুখে। আর এমন ‘ভয়ানক’ অসুখের শিকার হচ্ছেন বেশিরভাগ টিন এজাররাই। এমনি সব সমস্যার দেখা মিলছে নিত্যই। চিকিৎসকেরা হিমসিম খাচ্ছেন, পরিবারের লোকেরাও পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়। আর ভোক্তভুগীরাও রাত-দিন কাটাচ্ছেন নিদারুন যন্ত্রনাতেই ! প্রথম প্রথম এই সমস্যার কারন আঁচ করতে করতে পারেননি অনেকেই। তাই অজানা কোন অসুখ ভেবেই আতংকে কেটেছে অনেকের। তবে এবার চিকিৎসকেরা আকস্মিক এমন নতুন সমস্যার কারন জানিয়ে সাথে দিয়েছেন সতর্কবার্তাও । সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে, আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এই অজানা ও ‘কষ্টদায়ক’ রোগ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন । মাত্র কিছুদিন হল, রোগের লক্ষণটা অনেক বেশি প্রকট হয়ে উঠছে। যত দিন যাচ্ছে ততই অল্পবয়সি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে কম বয়সিদের মধ্যেও এই ‘কষ্টদায়ক’ অসুস্থতা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে ছোঁয়াচে অসুখের মতোই। বিভিন্ন হাসপাতালের স্নায়ুরোগ এবং অর্থপেডিক বিভাগে প্রতিদিনই কমবয়সীদের এমন চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। নেপথ্যের কারন ! অল্প বয়সি কিশোর-তরুণ-তরুণীদের অথবা যুবক-যুবতীর এমন ‘কষ্টদায়ক’ অসুখের কারণ মোবাইল ফোন। ডাক্তারি পরিভাষায় অসুখের নাম ‘টেক্সট নেক’ । স্নায়ু-সার্জনরা বলছেন, শুধু অ্যানড্রয়েড মোবাইল নয়, অল্পবয়সিদের এমন জটিল ও যন্ত্রণাময় অসুস্থতার পিছনে রয়েছে বাজারে আসা আই-প্যাড, ট্যাব অথবা কিন্ডল্স। অল্পবয়সীদের কেন এমন অসুখ হচ্ছে? নেপথ্যে কি কোনও ভয়ানক ভাইরাস? ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ নিউরো সার্জনস এবং সোসাইটি অফ এশিয়-অস্ট্রেলীয় নিউরোলজিক্যাল সার্জন (এ.এ.এস.এন.এস)Asian Australasian Society of Neurological Surgeons (AASNS) সংস্থার পৃথক সমীক্ষা রিপোর্ট তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক নতুন ‘অদ্ভুত’ অসুখের বিবরণ দিয়েছে। মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ‘টেক্সট নেক’ রোগী। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ কোটি (অক্টোবর ২০১৫ রিপোর্ট অনুযায়ী, ষোল কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে; ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছেন সোয়া ৫ কোটি গ্রাহক।) অন্যদিকে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ৬০ কোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের কাছে দিনে অন্তত ১৮ ঘণ্টা ফোন থাকে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, একনাগাড়ে পর্দায় চোখ রাখার কারণে অনেকের আবার চোখের অসুখ এবং মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ও ঘন ঘন ঘাড় নিচু করায় কশেরুকার (ডিস্ক) ফাঁক সঙ্কীর্ণ হওয়ায় স্নায়ুতে চাপ পড়ায় যন্ত্রণা হচ্ছে। সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞ স্নায়ু চিকিৎসকরা বলছেন, “সোজা থাকার পরিবর্তে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ব্যবহারকারীদের মেরুদণ্ডের উপরিভাগ দিনের একটা বড় সময় ৩৫ থেকে থেকে ৫৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বেঁকে থাকছে। “এশিয়-অস্ট্রেলীয় নিউরোলজিক্যাল সার্জন সংস্থার ঐ রিপোর্টে ভারতের বিখ্যাত ব্রেন সার্জন সুজয় সান্যাল জানিয়েছেন, “ব্যাথা কমাতে মুঠো মুঠো পেন-কিলার না খেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করুন। প্রয়োজনে ডিস্ক রিপ্লেসমেণ্ট সার্জারি করিয়ে নেওয়া দরকার। “ প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 25 Dec, 2015 সকালে ঘুম থেকে জেগে বিছানায় শুয়ে শুয়েই শুনছিলাম নজরুলের ‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে, মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে, যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে’ গানটি। মোহম্মদ রফির কণ্ঠে যেন মধু ঝরছিল। আজকের এই সকালে গানটা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ ১২ই রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সাড়ে ১৪শ বছর আগে এই দিনে আরবের বুকে জন্মেছিলেন এক মহামানব, বিশ্ব মানবতার পথ প্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। সেকারণে এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আবার কাকতালীয়ভাবে এবার একই দিন যিশুখ্রিস্টেরও জন্মদিন পড়েছে। খ্রিস্টান দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই ‘বড়দিন’। বিশ্বের মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। মুসলিমরা মহানবীর (সা.) পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানমালায় দিনটিকে স্মরণ করছে। অপরদিকে, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যিশুর জন্মদিন উদযাপন করছেন। শান্তির বাণী নিয়ে আজকের এইদিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন এ দু’জন মহামানব। তাছাড়া যিশুখ্রিস্টকে মুসলিমরা নবী হযরত ইসা (আ.) বলেই জানে। ফলে তার প্রতি মুসলিমদের অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। এমনি এক পবিত্র দিনে বাংলাদেশের খোদ মসজিদেই ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক ঘটনা। সারা দেশে যখন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান-আয়োজন চলছে, ঠিক তখনই রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর মচমৈল চকপাড়ায় এক মসজিদের নামাজরত মুসল্লিদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা হলো। শুধু তা-ই নয় মসজিদটি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) হওয়ায় এ ভূখণ্ডে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গর্বিত ঐতিহ্যেও বড় আঘাত এটি। হামলায় ঘটনাস্থলেই এক তরুণ নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ মুসল্লি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণই আত্মঘাতী হামলাকারী। রাজশাহী, বোমা, আত্মঘাতী, কাদিয়ানি, আহমদিয়া বাগমারার আহমদিয়া মসজিদের বোমা হামলা এমন এক তাৎপর্যপূর্ণ দিনে মুসলমানদের প্রার্থনার জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান মসজিদের ভেতর নামাজরত অবস্থায় বোমা হামলার ঘটনা মানুষের মনে যারপর নাই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে হঠাৎ করেই এরকম মসজিদ ও ধর্মীয় সমাবেশে হামলার ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। গত শুক্রবারও চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকার দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন জুমার নামাজের সময় বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটি সংলগ্ন নৌবাহিনীর মসজিদ দুটিতে হামলাগুলো চালানো হয়েছিল। সেই হামলায় ৬ মুসল্লি আহত হন। ঘটনাস্থল থেকেই মুসল্লিরা আটক করে নৌবাহিনীর দুই সন্দেহভাজন সদস্যকে। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যার পর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চককানু গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের আল-মোস্তফা জামে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে মোয়াজ্জিন নিহত ও তিন মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়। তারও আগে ২৩ নভেম্বর রাজধানীর পুরান ঢাকায় ইমামবাড়ায় মহররমের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি সমাবেশে মাঝরাতে বোমা হামলা হয়। এতে এক কিশোর নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে শিয়া ও আহমদিয়াদের ওপর হামলা বাংলাদেশের নিরাপত্তা নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জঙ্গি সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েক বছর থেকেই আলোচনা ও পদক্ষেপের কথা শুনা গেলেও এইসব ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উৎসঃ বাংলামেইল২৪ প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 19 Jun, 2016 ড. তুহিন মালিক ফাহিমের মৃত্যুই বাঁচিয়ে রেখেছে গুপ্তঘাতকদের ! প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! ড. তুহিন মালিকের ফেসবুক স্ট্যাটাসে পাঠকের অনেক মন্তব্য উঠে এসেছে।এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাস করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে...তাদের মন্তব্য তুলে ধরা হলো,... আব্দল্লাহ মুনিম রাশেদ লিখেছেন : তিনি তো জানবেন-ই, তিনিই তো গেস্টাপো বাহিনীর গ্রুফেনফুয়েরার (জেনারেল)। সব ইস্যু মেকিং কিংবা ইস্যু ব্রেকিং হত্যাকান্ড এই শ্রীমতীর সরাসরি হুকুমে হয়ে থাকে। আল্লাহ এই নব্য হিটলার ( হিটলার বলাটাও বোধ হয় সমীচীন নয়,হিটলার নিজ জাতের মানুষ হত্যা করেনি) এর হাত থেকে মুক্তি দাও। আসুন সবাই সেজদার সময় এই মহিলার মৃত্যু কামনা করি অথবা নিজেদের হেফাজত। এই মহিলা যত দিন বেচে থাকবে ততদিন এই বাংলার কোন মুসলিম নিরাপদ নয়। নিরব ইসলাম লিখেছে : আওয়ামীলীগ কি মানুষ..... যদি প্রধানমন্ত্রী সব যানেন তাহল মুখ খুলেন না কেন.... স্যার আপনার কথায়..... ১০০% ঠিক খায়রুল ইসলাম স্বপন লিখেছেন : আমাদের দেশে এখন যে নাটক চলছে এর লেখক হল ভারত পরিচালক হল হাসিনা । খুনি হিরো আওয়ামীলীগ, খন্দক্র এমডি আতিক ইসলাম লিখেছেন : তাইলে যে জানে তারেই তো রিমান্ডে নেয়া উচিৎ এবং একটি বন্দুকযুদ্ধ অতঃপর সমগ্র বাংলাদেশ শান্তির গড়িমায় উচ্ছ্বসিত হারনু মোহাম্মদ লিখেছে :খন প্রধানমন্ত্রীকেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাস করা উচিত কে এই গুপ্ত হত্যার সাথে জড়িত। তা না হলে এই জাতি কোন দিন ও জানতে পারবেনা কে বা কারা এইসব অপরাধী। কারন সাধারণ অপরাধীদের অস্র উদ্ধার নাটক সাজিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে দেয়, এইভাবে চলতে থাকলে কি ভাবে জাতি জানবে কে আসল অপরাধী? সিকদার রহমান লিখেছেন : বর্তমানে পুলিশের কর্মকান্ড ও মন্ত্রীদের বক্তব্য প্রমান করে দেশে যেসব গুপ্ত হত্যাকান্ড হচ্চে তাতে সরকারদলীয় লোকজন ১০০% জড়িত। জিয়া উদ্দিন জিয়া লিখেছেন : ফাহিমের হত্যার পর আর কারো সন্দেহ থাকার কথা নয় বাংলাদেশে জঙ্গি জঙ্গি খেলাটি ভারতীয় 'র 'এর মাধ্যমে চলছে। আজ উত্তরার একটি বৌদ্ধমন্দিররের পাশ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফাহিমকে কার নির্দেশে বন্দুকযুদ্ধের নাতে হত্যা করা হয়েছে যাদের অধীনে রিমান্ডে ছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় এনে জিগ্যাসাবাদ করা উচিত। মামুনুর রশিদ খান : দেশে এখন থ্রিলার মুভি চলছে, যিনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনিই সবকিছুতে জড়িয়ে আছেন, আমাদের ঘুম কি ভাঙ্গবেনা? প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:নবরাত্রি ও নরেন্দ্র মোদী Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক নবরাত্রি ও নরেন্দ্র মোদী 01 Oct, 2016 নবরাত্রি এমন একটি ধর্মীয় উৎসব যা গোটা ভারতে একসঙ্গে পালন করা হয়। এই উৎসবে মিলিত হয় প্রতিটি রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ। কোটি কোটি ভারতীয়’র সঙ্গে এবারও প্রতি বছরের মতো টানা নয়দিন উপবাস করে নবরাত্রি পালন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। চলবে টানা নয়দিন। সনাতন ধর্মানুসারে নবরাত্রির একেক দিনে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়। হিন্দুশাস্ত্রে বলা আছে, নবম দিনে দেবী দুর্গা অশুভ শক্তিরূপী মহিষাসুরকে পরাজিত করেন। নবরাত্রি শেষদিন হয় দশেরা বা বিজয়া দশমী। মহাকাব্য রামায়ণ অনুযায়ী, শ্রীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করেন। অর্থাৎ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় হয়। এই উৎসবের নাম ‘দশেরা’। নবরাত্রির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো নবরাত্রির দিনগুলো ঠিক করা হয় চন্দ্রমাস ধরে। নিয়ম অনুযায়ী এই উৎসবের সময় নারীরা তিন রঙয়ের পোশাক পরে থাকেন। শুধু তাই নয় পুরাণ মতে এই নয়দিনে নয়টি আলাদা আলাদা রঙয়ের প্রাধান্য থাকে। যেমন, নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ প্রতিপদের রঙ লাল, দ্বিতীয়ার রঙ নীল এবং তৃতীয়ার রঙ হলুদ এই ভাবেই নবমীর দিনের রঙ হয় আকাশী। হিন্দুমতে বছরে পাঁচটি নবরাত্রি পালন করার কথা বলা আছে। মার্চ এপ্রিল মাসে পালিত হয় ‘বসন্ত নবরাত্রি’, জুন জুলাই মাসে পালিত হয় ‘আষাঢ় নবরাত্রি’, সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে ‘শারদ নবরাত্রি’ বা ‘মহা নবরাত্রি’। এছাড়াও পৌষ ও মাঘ মাসে যথা ক্রমে ‘পৌষ নবরাত্রি, ও ‘মাঘ নবরাত্রি’ পালন করা হয়। এরমধ্যে ‘শারদ নবরাত্রি’ বা ‘মহা নবরাত্রি’ সারা ভারতে পালন করা হয়ে থাকে। শারদ নবরাত্রি বা মহা নবরাত্রি শনিবার শুরু হয়েছে। নবরাত্রির নয়দিনে দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। নবম দিনে পালন করা হয় ‘গর্বা’। ‘গর্বা’ এক বিশেষ ধরনের নৃত্য। মূলত গুজরাটে এ নৃত্যের উৎপত্তি হলেও সর্বভারতে হিন্দি বলয়ে এই নাচের প্রচলন আছে। গুজরাটের আদিবাসীদের এই নৃত্য কলা বর্তমানে ডান্ডিয়া নাচের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত। ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে রাস উৎসবের সময় ডান্ডিয়া নাচ খুবই জনপ্রিয় একটি নৃত্য শৈলী। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ‘গর্বা’ নৃত্য ধারায় ব্যবহৃত গানগুলোতে একাধারে যেমন শক্তি রূপে দেবী দুর্গার বর্ণনা আছে অন্য দিকে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন উপাখ্যানও এতে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নবরাত্রির উপবাস যথেষ্ট জনপ্রিয় একটি ব্রত। নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে উপবাস শুরু করে নবম দিনে রাতে এই উপবাস সমাপ্ত হয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই উপবাস করে থাকেন। দিনের শেষে ভক্তরা শুধুমাত্র পানি, লেবুপানি বা ফলের রস পান করে থাকেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নবরাত্রি উপবাস পালন করেন নিষ্ঠার সঙ্গে। এই সময় তিনিও কোনো ধরণের শক্ত খাবার গ্রহণ করেন না। এমন কি বিদেশ সফরের সময় তার এই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হয় না। ২০১৪ সালে আমেরিকা সফরের সময় তিনি নবরাত্রির উপবাস পালন করেছিলেন। এই সময়ে তিনি পান করেছিলেন শুধু মাত্র লেবুপানি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই অভ্যাস দীর্ঘদিনের। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ঠিক এই ভাবেই তিনি নবরাত্রির উপবাস পালন করতেন। প্রধানমন্ত্রী হবার পর তার কাজের চাপ বেড়েছে, বেড়েছে দায়িত্বও, কিন্তু নবরাত্রির উপবাস পালনে তার রুটিনে কোনো রকম ভাটা পড়েনি। উৎসঃ banglanews24 প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা হয় মুরগি ও মাছের খাদ্য। ওইসব মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের ক্যানসার, টিউমার, পাকস্থলি বা ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ হতে পারে। আর এসব খাদ্য তৈরির দায়ে সাতজনকে জেল-জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জয়নাল আবেদিন, জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ, গোলাম সারোয়ার, কালাম, নাসির উদ্দিন ও সাইদ শেখ। বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাজারীবাগের শিপন ফিড মিল, শোয়েব এন্টারপ্রাইজ এবং খলিলের মাছের আউশ নামক তিনটি কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নের্তৃত্ব দেন র‌্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন। জেল-জরিমানা ছাড়াও কারখানা তিনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত কারখানার মালিকরা ট্যানারি থেকে আনা চামড়ার বর্জ্য সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানায়। ওই শুঁটকি ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করে এবং নিজেরাই গুড়া করে ফিড তৈরি করে। তাদের কাছ থেকে শুঁটকি কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অন্যরাও ক্ষতিকর ফিড তৈরি করছে। গত কয়েক বছর ধরে এভাবে ফিড তৈরি করা হচ্ছে বলে কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছে। তিনি বলেন, মুরগি বা মাছের খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ফিডে প্রায় পাঁচ হাজার পিপিএম মাত্রায় ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। তবে মুরগি বা মাছের দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায়, ডিমের আকার বড় এবং দামে কম হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকর ট্যানারি বর্জ্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। এ ফিড মাছ বা মুরগি খেলে মলমূত্রের মাধ্যমে খানিকটা বের হয়ে গেলেও একটা বড় অংশ মাছ বা মুরগির শরীরে জমা হতে থাকে। ওইসব মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে সবটা বের হতে না পেরে শরীরে জমা হতে থাকে। এতে ক্যানসার (বিশেষত ফুসফুস ক্যানসার), টিউমার, পাকস্থলি বা ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ হতে পারে। এসব অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে সিলগালা এবং সাতজনকে জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। বাংলামেইল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ঘুষ দিন, সেবা নিন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য ঘুষ দিন, সেবা নিন 04 Jul, 2015 ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)। ৭০ বছরের পুরনো এই হাসপাতালটিতে রোগীরা সেবা নিতে এসে প্রতিনিয়তই দালালদের দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছেন। রোগীরা তাদের কাছে জিম্মি। দালালদের কাছে টাকাই মুখ্য, রোগী নয়। এমনকি মুমূর্ষু রোগীও তাদের অর্থের কাছে পাত্তা পায় না। যে কোন রোগীই তাদের কাছে ডাল-ভাত। তাই হাসপাতালে রোগীদের অর্থের বিনিময়ে অনেক সেবাই নিতে হয়। টাকা দিলে সিট, না দিলে ফ্লোর। শয্যাপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দিতে হয় রোগীকে। অন্যথায় সিট বা শয্যা পাওয়া খুবই ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সদ্যোজাত শিশুর খোঁজখবর নিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকাসহ বিভিন্ন দামে তাদের কাছ থেকে সুযোগ কিনতে হয় বলে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা অভিযোগ করেন, জরুরি বিভাগ দিয়ে রোগী কোনো ওয়ার্ডে নিতে হলেই দালাল চক্রের লোককে ট্রলি ব্যবহারে জন্য ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দিতে হয়। রোগীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয় রোগীকে। দ্রুত রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দ্রুত এক্স-রে রিপোর্ট পেতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। নবজাতক রিলিজ নেয়ার সময় ১০০ থেকে এক হাজার টাকা। সিরিয়াল ভেঙে এমআরআই করাতে ৫০ থেকে এক হাজার টাকা। ক্যাথেটার পরাতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ইকো করাতে ১০০০ টাকা। ব্যান্ডেজের সেলাই কাটতেও দিতে হয় টাকা। অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা ও গেট পাসের জন্য দালালদের ঘুষ দিতে হয় ৫০ টাকা করে । হাসপাতাল সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগে বহিরাগত মোসলেম, লাইলী, জীবন নেছা এবং আলট্রাসনোগ্রাম কক্ষের সিরাজের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। রোগীরা টাকা না দিলে এসব কর্মচারী রোগীদের চরম হয়রানি করেন। এদের টাকা দিলেই দ্রুত সেবা মিলে। অন্যথায় যতই মুমূর্মু রোগী হোক না কেন, তাদের কাছে পাত্তা নেই। সূত্র আরও জানায়, হাসপাতালে কিছু বহিরাগত (প্রাইভেট) আয়াও রয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তারা প্রভাবশালীদের ইশারায় চলে। এরাই হাসপাতাল নষ্টের মূলহোতা। বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা। এদিকে হাসপাতালের ডাক্তাররা নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন না বলে অভিযোগ করেন রোগীরা। তারা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কথা বলে নিজেদের চেম্বারে বা ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া মেডিসিন প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকলেও তারা সবসময়ই ডাক্তারদের কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন বলেও তারা অভিযোগ করা হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয়া, সময় মতো নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের ডেকে না পাওয়াসহ রোগীদের সঙ্গে নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও উঠে আসে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। তারা দ্রুতই রোগীর পরীক্ষার-নিরীক্ষার কাগজপত্রগুলো হাত করে নেয়। আর রোগীর স্বজনকে বলতে বা পরামর্শ দিতে দেখা যায়, এখানে (হাসপাতালে) পরীক্ষার করালে অনেক সময় লাগবে। আপনরা বাইরে থেকে এই পরীক্ষাগুলো দ্রুত করালে অনেক সুবিধা পাবেন। আমরা (ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা) দ্রুতই আপনার পরীক্ষার-নিরীক্ষার ফলাফল হাতে পৌঁছে দিবো। এতে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো তাদের কথায় বিশ্বাস করে ফাঁদে পড়েন। দালালরা হাসপাতালের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে হাসপাতালের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। কেইস স্টাডি: গত মাসে হাসপাতালের ১০০ ওয়ার্ডের বয় স্বপন এক রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে আনতে ট্রলি ব্যবহার বাবত ৩০০ টাকা দাবি করেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা বলেন, ভাই আমরা গরিব। তাই ১০০ টাকা দিলাম। টাকা কম দেখে স্বপন ক্রোধের সঙ্গে বলতে থাকেন মাত্র ১০০ টাকা! ওই সময়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হাসাপাতালের আরেক কর্মচারী স্বপনকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘ওর (রোগীর) বাবার কাছে তুই টাকা রেখেছিল যে ৩০০ টাকা দিবি করছিস।’ গত বছর আগস্ট মাসে আব্বাস নামের এক রোগী বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে ঢামেকে আসেন। ওই রোগী জিবিএস মুমূর্মু ছিলেন। রোগীর বোন সাঈদা আক্তার অভিযোগ করেন, জরুরি বিভাগ থেকে তার ভাইকে নতুন ভবনের ছয় তলায় ৬০১ ওয়ার্ডে রেফার করেন ডাক্তাররা। প্রথমে ওই ভবনের গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন। আর বলতে থাকেন, সিট খালী নেই। ফ্লোরেই থাকতে হবে। কোনো রোগী চলে গেলে বা ফাঁকা হলে সিটে পাবেন। অল্প কিছুক্ষণ পর ওই ওয়ার্ডের এক নার্স এসে বললেন, আপনারা ওয়ার্ড বয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ওয়ার্ড বয়দের সঙ্গে কথা বললে, তারা জানান ৪০০ টাকা দিলে এখনই সিট বা শয্যা ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে। পরে ওই রোগীর সঙ্গে আসা তার মামা সবুজ দরকষাকষি করে ৩০০ টাকা দিয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যেই ফ্লোর থেকে সিটে তুলেন রোগীকে। তবে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ওই রোগী মারা যান বলে তার মামা উল্লেখ করেন। ঠাণ্ডাজনিত কারণে চলতি বছরের ৪ঠা জুন ঢামেকের বর্হিবিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা সুমি আক্তার। সুমি আক্তারের স্বামী জিয়াউদ্দিন বাবুল অভিয়োগ করে বলেন, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক তার স্ত্রীকে তিন ধরনের ওষুধ লিখেছেন ব্যবস্থাপত্রে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৪টি গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেটের মধ্যে মাত্র ৪টি দিয়েছে। আর বাকি দুই ধরনের এন্টিবায়োটিক ১৪টি ও ১০টি ট্যাবলেটের একটিও দেয়নি। তিনি জানান, এই ওষুধগুলোর প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৫০ টাকা। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, হাসপাতাল থেকে এতো ওষুধ কোথায় যায়? হাসপাতাল থেকে পাবলিকের ওষুধ সবই কি চুরি হয় ? তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ যাবো কোথায় ? জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ৩১৩ ওয়ার্ডের রোগী আবদুর রব শেখের ইকো টেস্ট করার নির্দেশ দেন ডাক্তার। সেই মোতাবেক রোগীর আত্মীয় হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এই টেস্ট করাতে যান। রোগীর স্ত্রী অভিযোগ করেন, হাসপাতালের দালালরা রোগীর এই টেস্ট করাতে তার কাছে ১০০০ টাকা দাবি করে। দালালরা বলেছে, এই টাকা দিলে দ্রুত পাঁচ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা হবে। তিনি তাদেরকে (দালালদের) বলেছেন, ভাই আমরা গরিব, টাকা দিতে পারবো না। এই রোগী ২রা জুলাই রিলিজ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর চলে গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের (স্বাস্থ্য বুলেটিন) ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলে ২৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বহির্বিভাগ দিয়ে ৩ হাজার ৩৫৩ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। গড়ে মারা গেছেন ২৪ জন। হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, জরুরি বিভাগ দিয়ে এক হাজার থেকে ১২শ’ রোগী চিকিৎসা নিয়ে ফেরা যান। হাসপাতালে নিয়মিত ৩ হাজার ৪শ’ থেকে ৩ হাজার ৫শ’ রোগী থাকছেন। সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢামেককে ২৬০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। যদিও হাসপাতালের শয্যা উন্নীত হয়েছে কিন্তু জনবল বাড়েনি। পুরনো কাঠামো অনুযায়ী জনবল আছে ৩ হাজার ২১১টি। তবে ৭৮২টি পদ শূন্য রয়েছে। ডাক্তারের সংখ্যা ৫২৫ জন। জানা গেছে, হাসপাতালে ১৩২৯ নার্সের মধ্যে কর্মরত আছেন ৮৭৯ জন। তৃতীয় শ্রেণীর ৩৪৪টি পদের মধ্যে খালি আছে ১৩০টি এবং চতুর্থ শ্রেণীর ১০১৩ পদের মধ্যে ২০০টি পদ শূন্য রয়েছে। সুযোগ-সুবিধা: হাসপাতালে ৭০টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিভাগ আছে ৩০টি। প্রতি বছর হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত ৬২৩টি ওষুধের আইটেম কেনার কথা থাকলেও দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ কেনা হয় । এ হাসপাতালে রোগীকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা দামের ওষুধ দেয়া হয় বলে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সিরিয়াস ইনফেকশনের জন্য এন্টিবায়োটিক ম্যারোপেনা ১ এমজি দেয়া হয়। সিটি এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাম, ইআরসিপি, এনড্রোসকপি, ইকো, ডায়ালাইসিসসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখানে করা হয়। তবে, যেসব টেস্ট সব সময় প্রয়োজন হয় না সেগুলো এই হাসপাতালে করা হয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, আইসিইউ থেকে ২০টি এবং সিসিইউতে ২৪টি শয্যা রয়েছে। বার্ন ইউনিটে নিওরোসার্জারি, মাক্রো সার্জারি অর্থোপেডিকে অপারেশন করা হয় এই হাসপাতালে। এনজিও প্লাসটি করা এই হাসপাতালে। ২৪ ঘণ্টা এম্বুলেন্স সুবিধা দেয়া হয়। চারবেলা রোগীকে খাবার সরবরাহ করা হয়। রুটিন অনুযায়ী সকালের নাস্তায় দেয়া হয় পাউরুটি, ডিম, কলা ও জেলি; দুপুরে ভাত, মাছ, সবজি, মাংস; বিকালে চা, বিস্কুট এবং রাতে ভাত, মাংস ও সবজি দেয়া হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. খাজা আবদুল গফুর মানবজমিনকে জানান, ভর্তিযোগ্য সব রোগীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীরা প্রায় সব ধরনের সুবিধাই ভোগ করছে হাসপাতালে। তারা হাসপাতাল থেকে গড়ে ৯০ শতাংশ ওষুধ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ ডাক্তার একজন রোগীকে ১০টি ওষুধ দেয়ার নির্দেশ দিলে রোগী কমপক্ষে ৯টি ওষুধ পান বলে তিনি দাবি করেন। কখনও ১০টি ওষুধও পেয়ে থাকেন। আমরা ১৯৭৪ সালের লোকবল দিয়ে কাজ করছি। প্রতিদিন হাসপাতালে ৪ হাজারের ওপরে রোগীর সমাগম হয়। ওই লোকবল দিয়ে হাসপাতালের কাজ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান হাসপাতালে দালাল ও ঘুষ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে তার দপ্তরে বলেন, ‘সমস্যা আছে। সমাধানের চেষ্টাও চলছে। সচেতন আছি। পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি উত্তরণ করা সম্ভব হবে।’ ইতিহাস: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি ১৯৪৬ সালে স্থাপিত হয়। ছাত্র সংখ্যা ১,৫৫০ জন। আয়তন ২৫ একর। এটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর ১৮০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পাশে রয়েছে শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখলের প্রায় একশ’ বছর পর ১৮৫৩ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠারও একশ’ বছরে এ অঞ্চলে কোন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়নি। মধ্যবর্তী এ দীর্ঘ সময়ে কিছু মেডিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে মিটফোর্ড মেডিক্যাল স্কুল (যা বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ), ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট মেডিক্যাল স্কুল। তবে, পূর্ববঙ্গে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিতে নিতে চলে আসে ১৯৩৯ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল তদানীন্তন বৃটিশ সরকারের কাছে ঢাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে হারিয়ে যাওয়া প্রস্তাবটি ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষে আলোর মুখ দেখে। বৃটিশ সরকার উপমহাদেশের ঢাকা, করাচি ও মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) তিনটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং অত্র অঞ্চলের প্রথিতযশা নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করেই ১০ই জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়। ওই বর্ষেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শুরুতেই ডব্লিউ জে ভারজিনের ওপরেই ন্যস্ত হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। শুরুতে এনাটমি ও ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্ট না থাকায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মিটফোর্ড মেডিক্যাল স্কুলে ক্লাস করতে হতো। একমাস পর এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক পশুপতি বসু এবং ফিজিওলজি বিভাগে অধ্যাপক হীরালাল সাহা শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর হাসপাতালে ২২ নং ওয়ার্ডে ক্লাস শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে কলেজ ভবন স্থাপনের পর সেই অভাব পূরণ হয়। প্রথম থেকে একই কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকলেও ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক সুবিধার্থে কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পৃথকীকরণ করা হয়। কলেজের দায়িত্বভার অর্পিত হয় অধ্যক্ষের ওপর এবং হাসপাতাল পরিচালনার ভার পরিচালকের ওপর। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ষাটের দশকের বিভিন্ন আন্দোলন রেখেছে অনন্য অবদান। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাক্তাররা এরশাদ সরকার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতির বিরুদ্ধে বিএমএর ব্যানারে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। উৎসঃ মানবজমিন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 19 Mar, 2016 ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী কয়েক দিন আগে দুপুরে খেতে গিয়েছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। তাতে আমন্ত্রণকারীর এক পরিবার আত্মীয়ও ছিল। এই পরিবারটি এসেছিলেন দিনাজপুরের এক গণ্ডগ্রাম থেকে। গণ্ডগ্রাম তাদের ছোট করার জন্য বলছি না। বলছি এ কারণে যে, লেখাপড়া জানলেও তারা এখনো তাদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আমার স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অধ্যাপনার চাকরি থেকে এখন অবসরে। তিনিও দেখি ছেলেমেয়েদের সাথে আইবাম যাইবাম খাইবাম- এরকম ভাষায় ইদানীং কথা বলেন। এ নিয়ে ছেলেমেয়েরা অবিরাম তাকে টিটকারি দেয়। কিন্তু তার বক্তব্য, আমার মাও তো এই ভাষায়ই কথা বলতেন, অসুবিধা তো কিছু হয়নি। ছেলেমেয়েদের দেখি, কখনো তাকে নকল করার চেষ্টা করছে। আমি সেটা উপভোগই করি। টেবিলে সেদিনের একটি সংবাদপত্র ছিল। তাতে বেশ বড় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ক্রন্দনরত ছবি ছাপা হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নানা কারণে কাঁদেন। কিন্তু সেদিন তিনি কেন কাঁদছিলেন, মনে করতে পারছি না। ছবিতে ছিল শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে কাঁদছেন আর টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছছেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে একটি ছয়-সাত বছরে মেয়েও ছিল। সে কিছুক্ষণ পর পরই তার মায়ের কাছে এসে জিজ্ঞেস করছিল, ‘হ্যাঁ মাই, হাসিনা ক্যানে কান্দিছু?’ কেউ তার কথায় তেমন গুরুত্ব দিচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে তার মাকে একই প্রশ্ন করছিল, হ্যাঁ মাই, হাসিনা ক্যানে কান্দিছু? আমরা নানা বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। কেউ খুব একটা মনোযোগ দিচ্ছিল না। আমি যে কিছু বলব, তারও কোনো উপায় ছিল না। কারণ এ ভাষার সাথে আমি পরিচিত নই। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির মা মুখ ঝামটা দিয়ে বলে বসলেন, ‘কায় জানে, হাসিনা ক্যানে কান্দিছু। যাঃ ক্যানে’। মেয়েটি মুখ ভার করে দূরে গিয়ে বসে রইল। শিশুটির প্রশ্ন সঙ্গত ছিল। আর শিশুদের তো অপরিমেয় কৌতূহল। কেন কাঁদবেন শেখ হাসিনা। তাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে না দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর কারো না কারো দেয়া উচিত ছিল। ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোকের অনেক কারণ আছে। সেগুলো সঙ্গতও। মানুষ আবেগপ্রবণ। কাঁদতে তিনি পারেনও। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের দায়ে যিনি অভিযুক্ত, সেই ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছিল, একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। শুধু ৮০০ কোটি টাকাই নয়, নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। একটি বানান ভুলের জন্য ফিলিপিন্সে তা আটকে যায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহছানুল করিম তার ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আতিউরের সৎ সাহসের প্রশংসা করেছেন। ক’জন পারে এ রকম ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে। কিন্তু এহছানুল করিম বলেননি যে, আতিউরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় প্রধানমন্ত্রীর চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝরে পড়ছিল। এ দাবি আতিউরের। তবে এখন তা সত্য বলেই প্রমাণিত হয়েছে। আতিউর যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে তাকে এই ৮০০ কোটি টাকা পাচারের দায়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল। তা না করে তার প্রশংসা করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলো কেন? এই টাকা চুরির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা ও আবুল কাসেমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. আসলাম আলমকে ওএসডি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সচিব আসলামের কোনো দোষ নেই, তবে তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। এর আগে আতিউর পদত্যাগ করার পর মাত্র চার ঘণ্টার জন্য এই আসলামকেই সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত করেছিল। আর চার ঘণ্টা পর তাকে বাদ দিয়ে সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবিরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়েছে। এই অর্থ পাচারের ঘটনায় হঠাৎ করেই সরকার এতটা আউলিয়ে গেছে যে, মুহূর্তে মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হচ্ছে। কিন্তু তার আগে এক মাস দশ দিন আতিউরের আদর্শের সরকার কোথায় ছিল? এই ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটার পর ড. আসলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন। আতিউর বোর্ডকেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি যে, তার নেতৃত্বাধীন ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে আট শ’ কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে। এই চুরির সাথে যদি আতিউরের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকে, তবে তিনি তা এক মাস পাঁচ দিন ধরে কেন লুকিয়ে রাখলেন? প্রকাশ করলেন তখনই, যখন এই টাকা নিয়ে ফিলিপিন্সে তোলপাড় পড়ে যায়। আবার আতিউরের পেট চিঁড়ে কেন টাকা চুরির বিষয়টি বের করতে পারলেন না, সেটা ড. আসলামের দোষ হয়ে গেল? কিন্তু আতিউরের প্রতি অর্থমন্ত্রীর ক্ষোভ অপ্রকাশিত থাকেনি। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত তার সাক্ষাৎকার থেকে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ড. আতিউর সম্পর্কে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তার অবদান প্রায় শূন্য। তিনি শুধু জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন। আর রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা শতভাগ জড়িত। স্থানীয়দের ছাড়া এটা হতেই পারে না। ছয়জন লোকের হাতের ছাপ ও বায়োমেট্রিকস ফেডারেল রিজার্ভে আছে। নিয়ম হলো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে ষষ্ঠ ব্যক্তি পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্লেটে হাত রাখার পর লেনদেন আদেশ কার্যকর হবে। তিনি (গভর্নর) সঙ্কটটির গভীরতাই বুঝতে পারেননি। খবর পেয়েও তিনি দেশের বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। তিনি খালি পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছেন আর লোকজনকে অনুরোধ করেছেন বক্তৃতা দেয়ার জন্য তাকে সুযোগ দিতে ও দাওয়াত দিতে। এখন বেরোচ্ছে এগুলো। ঘটনার এক মাসেও সরকারের শীর্ষ মহলকে না জানানোর কারণ হিসেবে আতিউর পাজল্ড হয়ে গিয়েছিলেন বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাও নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এটাও ভুল। আমার নিয়োগ করা গভর্নর, অথচ তিনি সব সময়ই বলে এসেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি পদত্যাগপত্রও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। এটা তিনি পারেন না। তার পদত্যাগপত্রটিও হয়নি। আমাদের দেশে তো ওইভাবে নিয়ম-কানুন মানা হয় না। অন্য দেশ হলে আমার অনুমতি ছাড়া তো তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখাই করতে পারতেন না।’ অর্থমন্ত্রীর এ কথা সর্বাংশে সত্য। বেশ কিছুকাল যাবৎ লক্ষ্য করছিলাম, আতিউর বিভিন্ন জনসভায় বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছেন। আমার মনে হয়েছিল, আতিউরের দু’দফা গভর্নরের মেয়াদ তো শেষ হয়ে আসছে। আর মুহিত সাহেবেরও বয়স হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো আতিউরকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন যে, মুহিত সাহেবকে বাদ দিয়ে তাকেই পরবর্তী অর্থমন্ত্রী করা হচ্ছে। আতিউর তার রিহার্সাল দিতে শুরু করেছেন। তাছাড়া আতিউরের বস অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নন। প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর বস। তাহলে আতিউর কোন বিবেচনায় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও বিমানবন্দর থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে ‘ক্লান্তি’র অজুহাতে বাসায় চলে গেলেন। মাত্র দু’ঘণ্টা বিমানে বসে থেকেই তিনি এতটা ক্লান্ত হয়ে পড়লেন! পরদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে তা গ্রহণ করলেন। আজব! আর ব্যাংকের এরকম অবস্থায় তিনি ভারত গিয়েছিলেন কোন প্রমোদে? কোন তদবির করতে? ফিরে এসে বললেন, টাকা চুরির ব্যাপারে তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। টাকা বাংলাদেশের। চুরি হলো নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে। চলে গেল ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায়। আর তিনি আলোচনা করতে গেলেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে। এমন গাঁজাখুরি গল্প খুব কমই শোনা যায়। রাকেশ আস্তানা ও তানভীরকে অপহরণ ভারতীয় নাগরিক ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপ-তথ্য কর্মকর্তাকে বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে বেশ কিছুকাল আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রাকেশ আস্তানাকে। তিনি এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি সিস্টেমে এমন সব সফটওয়ার ঢুকিয়েছেন বা ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন, যার সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা পরিচিত নন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা চুরির চেষ্টা ও শেষ পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকা চুরিতে সফল ঘটনার সাথে রাকেশ আস্তানার দিকে সন্দেহের তীর নিবদ্ধ হয় একেবারে শুরু থেকেই। পৃথিবীর ব্যাংকিং ইতিহাসে এত বড় চুরির ঘটনা এটাই প্রথম। কিন্তু এই চুরির ঘটনা তদন্তের জন্য রাকেশ আস্তানাকে আবার নিয়োগ দেন তারই প্রতিষ্ঠিত অতি ক্ষুদ্র একটি খ্যাতিহীন প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই-কে। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকসের ওয়েবসাইট অনুসারে রাকেশই এই ফায়ারআই-এর প্রধান নির্বাহী। চুরির সাথে যার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, তার প্রতিষ্ঠানকেই আবার নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেটি তদন্তের জন্য। গভর্নর আতিউর কি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন? যে ছয় কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ও তা পরীক্ষা করে নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক টাকা ছাড় করে, তারা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাদের ধরা যাচ্ছে না কেন? এর জবাব মুহিত সাহেবও এখন পর্যন্ত দেননি। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি যে টাকা চুরি হলো, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ড. আতিউর এক মাস ধরে অপেক্ষা করলেন, যাতে টাকাগুলো নিরাপদে ব্যাংক সিস্টেম থেকে বেরিয়ে ব্যক্তির হাতে পৌঁছে যেতে পারে। ইতোমধ্যে সেই আট শ’ কোটি টাকা ব্যক্তির হাতে পৌঁছেও গেছে। আর তারপর ‘বীরে’র মতো পদত্যাগ করেছেন আতিউর। তদন্তকারী দলের উদ্ধৃতি দিয়ে এক সহযোগী লিখেছেন, ‘এ কাজে ব্যবহৃত চারটি ইউজার আইডি শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা গেছে। এটি একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের কাজ। এতে দেশী-বিদেশী চক্রের লোকজন জড়িত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করা হয়েছে। দেশী চক্রে প্রভাবশালী মহল জড়িত। তাদের নাম প্রকাশ করা সহজ কাজ নয়। জীবনের ঝুঁকি আছে। আমরা প্রায় নিশ্চিত, কারা এ কাজের সাথে জড়িত। আর অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রাকেশ আস্তানার কাজের পরিধি কমানো হবে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত র‌্যাবের সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহাকে বুধবার দিবাগত রাতে কচুক্ষেত এলাকার ডিজিএফআই অফিসের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে কোনো থানাই তার পরিবারের মামলা নেয়নি। তিনি এই অর্থ চুরির প্রকৃত কিছু তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। ফলে একটি মহল তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বলে তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তদন্তে রাকেশ আস্তানার দেয়া অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন জোহা। ফলে তদন্ত থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার একটা চেষ্টা ছিল। অপহরণের সময় তার এক বন্ধু তার সাথে ছিলেন। তিনিই অপহরণের কথা পরিবারকে জানান। তার অপহরণ সম্পর্কে আমাদের সন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তাকে তদন্তের প্রয়োজনে আটক করা হতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ৮০০ কোটি টাকা ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক জানিয়েছে সে টাকা আর ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভালোই দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। আর তার এই সাফল্যের পরও তার পদত্যাগেই কি তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেঁদে ফেলেছিলেন? তবে কি তিনি আগে থেকেই ঘটনার পূর্বাপর জানতেন? লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক [email protected] উৎসঃ নয়া দিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম [email protected] সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে 10 July 2015, Friday সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুশীল-কুশীল সংজ্ঞা দিয়েই সমাজের বিভাজন তৈরি হয়। শিক্ষিতদের সুশীল বলা হয়, কিন্তু একজন কৃষকই সবচেয়ে বড় সুশীল। কারণ তিনিই তো সবচেয়ে সৃজনশীল কাজ করেন। নিজেকেও বিভ্রান্ত সুশীল সমাজের সদস্য বলে মনে করা এই খ্যাতিমান অধ্যাপক বলেন, বর্তমানে বুদ্ধিজীবীদের বস্তু ও স্বার্থ চিন্তা গ্রাস করেছে। তারা জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখছেন। ফলে দেশ এক ক্রান্তিকাল পার করছে। কিন্তু নিশ্চয়ই একদিন এ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিভক্তির দুটো কারণ- রাজনৈতিক ও স্বার্থ চিন্তা। প্রথমতম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পর একটি দল স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। পরে তাদেরই নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা হলো। তারা শুধু স্বাধীনতার চেতনা গ্রহণ না করেই ক্ষান্ত হলো না, তারা এর বিরোধিতা করল। এখনো সেই ধারা বর্তমান। দ্বিতীয়ত, স্বার্থ চিন্তার কারণে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা আগে যেই আদর্শবাদিতার জায়গায় থাকতেন, এখন তার খুব কমই অবশিষ্ট আছে। তিনি বলেন, সংজ্ঞা অনুসারে সুশীল সমাজ বা সিভিল সোসাইটির সদস্যরা প্রথমত জাতির বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাদের অবস্থান সব সময়ই থাকবে জনগণের পক্ষে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষে। তারা সব সময়ই জনমানুষের সুবিধার জন্য কাজ করবেন। রাষ্ট্র যদি কখনো অত্যাচার করে তাহলে সুশীল সমাজের সদস্যরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। রাষ্ট্রের নীতি যদি দরিদ্র মানুষের বিপক্ষে যায় তাহলে এর বিরোধিতা করবেন। পৃথিবীর সব দেশেই বুদ্ধিজীবীরা মানুষের পক্ষে দাঁড়ান। যুক্তরাষ্ট্রের জন নোয়াম চমস্কি ইহুদি হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল ইস্যুতে মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। প্যালেস্টাইনের খ্রিস্টান হওয়া সত্ত্বেও এডওয়ার্ড সাইদ মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়িয়ে নিগৃহীত হয়েছেন। এরা হলেন সত্যিকার বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী মানে হলো বুদ্ধি দিয়ে জীবিকা অর্জন নয়, বুদ্ধির চর্চা করা এবং নিরন্তর চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধিকে মানুষের উপকারে কাজে লাগানো। সেখানে স্বার্থচিন্তা কোনোভাবেই আসবে না। একজন সত্যিকার বুদ্ধিজীবী পদ বা ক্ষমতার জন্য চিন্তা করবেন, তা কোনোভাবে কল্পনাই করা যায় না। তাহলে তিনি বুদ্ধিজীবী নন। কিন্তু আমাদের দেশে এর প্রচণ্ড অভাব দেখা যাচ্ছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রধান লক্ষ্য হয়েছে উপাচার্য হয়ে গাড়িতে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আফ্রিকার দেশে রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন। কোথায় উপাচার্যের মর্যাদা আর কোথায় রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা! আবার কেউ প্রতিমন্ত্রী হতে চান, কেউ উপমন্ত্রী হতে চান, কেউ সংসদ সদস্য হতে চান। তাহলে কোনো সংজ্ঞাতেই তাদের প্রকৃত বুদ্ধিজীবী বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলা যাবে না। কারণ সুশীল সমাজের প্রথম শর্তই হলো তারা স্বার্থের জন্য কাজ করবেন না। তারা বুদ্ধির রাস্তা বা যুক্তি-বিজ্ঞানের রাস্তায় কাজ করবেন। এখন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য বা ইউজিসির সদস্য করার কথা বলা হয় তাহলে লাইন লেগে যায়। স্বার্থের চিন্তা ও বস্তুর চিন্তা আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, এক পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের অস্তিত্বের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের বিরোধিতা করে পত্রিকায় লিখছেন। এটা কোনো সত্যিকারের বুদ্ধিজীবীর কাছে কল্পনাতীত। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা আছেন তাদের সবাই যে সেই চিন্তা বিশ্বাস করেন বা করছেন, তা বলা যায় না। বেশির ভাগই লাভের এ কাজ করছেন। তবে বাংলাদেশেও যে কিছু মুষ্টিমেয় সত্যিকার বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের জন্যই এ সমাজ টিকে আছে। যেমন- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনর্গল সংগ্রাম করে যাওয়া অধ্যাপক কবীর চৌধুরী তার নিজের বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিয়ে গেছেন। এখনো সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীদের মতো নিঃস্বার্থ মানুষ আছেন। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা একাত্তরের আগে পর্যন্ত গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমলে তারা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আহমদ শরীফ থেকে শুরু করে সুফিয়া কামালরা পর্যন্ত সবই ব্যক্তিস্বার্থের ঊধের্্ব উঠে শিক্ষার্থী ও জনমানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বাহাত্তর সাল থেকেই উপাচার্য ও অন্যান্য পদের জন্য বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। এরপর দুই সামরিক শাসনে লোভের বাণিজ্য সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের ঘিরে ফেলে। এরশাদ শাসনামলে দুর্নীতির বিস্তার ঘটল। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এলো কিন্তু দুই দলের শাসন শুরু হলো। একদল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, আরেক দল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ রাজনীতিকে সমর্থন দিল। এর মাধ্যমেই বুদ্ধিজীবিতা শেষ হয়ে গেল। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চাইলে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, উত্তরণ অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু আমরা যদি বুদ্ধিজীবীদের অবজ্ঞা করতে শিখি। কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যতই নিজেদের উন্নয়ন ঘটাবেন, যখন সমাজ আরও গতিশীল হবে তখন আর বুদ্ধিজীবী সমাজের প্রয়োজন হবে না। সমাজের মানুষ যত শিক্ষিত হবে, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, সমাজের বিভাজন যখন দূর হবে, তখন আর সুশীল সমাজের প্রয়োজন হবে না। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Sep, 2016 তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয় 13 Nov, 2014 আপনাকে অভিবাদন, স্যার 06 Nov, 2014 সামনে তো এগোতেই হবে 19 Oct, 2014 গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক 30 Aug, 2014 অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক 21 Jul, 2014 শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় 07 Jun, 2014 প্রশ্নপত্র ফাঁস, না শিক্ষার গলায় ফাঁস? 12 May, 2014 সরকারের নারায়ণগঞ্জ পরীক্ষা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:‘আমি ক্ষমতায় থাকতে শুধু নূর হোসেন ও মিলন মারা গেছিল’ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> রাজনীতি ‘আমি ক্ষমতায় থাকতে শুধু নূর হোসেন ও মিলন মারা গেছিল’ 01 Oct, 2016 জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকতে শুধু মিলন ও নূর হোসেন মারা গিয়েছিল। আর এখন প্রতিদিনই লোক মরে।’ শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এরশাদ বলেন, ‘আমার ক্ষমতা ছাড়তে মাত্র দুটি লোক মারা গিয়েছিল, মিলন আর নূর হোসেন। এখন প্রতিদিন কত লোক মারা যায়, তার কোনো হিসেব নেই। আমি খবরের কাগজ পড়িনা। পড়লে দুঃখ লাগে। শুধু লাশের খবর। এই কি স্বাধীন বাংলাদেশ?’ তিনি বলেন, ‘মানুষ ঈদ করতে বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মারা যায়। এ দেশে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ; তাহলে মানুষতো মারা যাবেই। এসবের বিচার হয় না। যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে এসব হত না।’ নিজের শাসনামলে মেধাবীরা চাকরি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় অপবাদ বেকারত্ব। মানুষের কোনো চাকরি নেই। চাকরি পেতে টাকা দিতে হয়। আমাদের সময় মেধাবীরা চাকরি পেয়েছে। এখন পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে যেকোনো চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ লাগে। যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি রাখা হয় না।’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ’ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নিজ থেকে কারো সঙ্গে হাত মেলাবে না। আমরা এখন শক্তিশালী, একাই একশ। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।’ এরশাদ বলেন, ‘দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করে বিএনপি। এ ধারা এখনো অব্যাহত আছে। নব্বইয়ে ক্ষমতা ছাড়ার আগে আমাকে কথা দেওয়া হল- সবাইকে নির্বাচন করার সমান সুযোগ দেওয়া হবে। নির্বাচনের শর্তে আমি ক্ষমতা ছেড়ে দিই; কিন্তু আমাকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেদিন নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হলে জাতীয় পার্টি আবারো ক্ষমতায় আসতো।’ বক্তব্যের শুরুতে এরশাদ বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে ১২১ জন নেতাকর্মী নিয়ে সিলেটে এসেছি দলকে সুসংগঠিত করার জন্যে। একদিন ভোট দিয়ে আপনারা আমার জীবন রক্ষা করেছিলেন। আজ আবার আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা ভোট দিয়ে আবারো আমাকে ক্ষমতার সুযোগ দিন।’ এর আগে দুপুর পৌনে ১টায় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমানে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এরশাদসহ তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান। সিলেটে পৌঁছেই হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। উৎসঃ poriborton প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 18 Sep, 2016 নির্বাচনে মনোযোগ বিএনপির 04 Mar, 2016 দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা : চুম্বক অংশ ১ 31 Oct, 2015 সমশের মবিনের পদত্যাগের পেছনে সম্ভাব্য ১০টি কারণ 30 Oct, 2015 অবসরে শমসের মবিন চৌধুরী: চাপে না ভয়ে? 29 Oct, 2015 প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন ৪ কূটনীতিক 28 Oct, 2015 ভিডিও >> বিদেশি খুনের পেছনে বিএনপি নেতা কাইয়ুম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 28 Oct, 2015 বিমান ছিনতাই 27 Oct, 2015 ভারত থেকে লন্ডনের পথে বড় ভাই 27 Oct, 2015 উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আ.লীগ 27 Oct, 2015 লন্ডনে বিএনপির সমাবেশ বাতিল : সহসা ফিরছেন না খালেদা জিয়া 26 Oct, 2015 হঠাৎ অস্থিরতা চারদিকে 26 Oct, 2015 দেশজুড়ে ধরপাকড় 22 Oct, 2015 ধানের শীষ না পেলে স্বতন্ত্র দাঁড়াবে জামায়াত 20 Oct, 2015 কী হচ্ছে বিএনপি অফিসে 14 Oct, 2015 ডিসেম্বরে মুখোমুখি দুই দল 14 Oct, 2015 লন্ডনে বেগম জিয়ার দিনলিপি 12 Oct, 2015 ‘গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ 12 Oct, 2015 ‘ছাত্রদলের ঘুরে দাঁড়াতে ২৪ ঘণ্টার বেশী সময় লাগবে না’ 12 Oct, 2015 ভারমুক্ত হচ্ছেন মির্জা ফখরুল 12 Oct, 2015 অসুস্থ না নিরাপত্তা? 09 Oct, 2015 বিএনপির একশ ভুল 04 Oct, 2015 চাপে পড়েছে সরকার 04 Oct, 2015 বিএনপি মুখপাত্রের ভূমিকায় বিব্রত হাইকমান্ড 16 Sep, 2015 লন্ডনে খালেদা জিয়া অতঃপর... 08 Sep, 2015 সরকারকে চালাচ্ছে একটি বিশেষ শ্রেণি 06 Sep, 2015 মধ্যবর্তী নির্বাচন এড়াতে কৌশলী সরকার 05 Sep, 2015 ক্ষমতার ভাগাভাগিতে এমপি বনাম এমপি! 05 Sep, 2015 পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগে 31 Aug, 2015 শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 30 Aug, 2015 গোয়েন্দা নজরদারিতে শাসকদল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 20 Dec, 2015 দুই কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি খাদ্যদ্রব্য জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ওমেগা এক্সিম লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব জব্দ করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় চার জনকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ২৪৬/১/বি-৮ নম্বরে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানে রোববার দুপুরে অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার এএসপি ইয়াছির আরাফাত জানান, বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই ওইসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আছে- বিভিন্ন ধরনের আপেল ও অরেঞ্জ জুস, কিংবেল টুনাফিশ (থাইল্যান্ড), কিংবেল সুইট চিলি সস (থাইল্যান্ড), মাসরুম গার্ডেন ফ্রেস (চায়না), গ্রিনপিস কিংবেল (থাইল্যান্ড), ফ্রুট সিরাপ ককটেল (থাইল্যান্ড), লাইট মিট টুনা কিংবেল (থাইল্যান্ড), ফিস সস কিংবেল (থাইল্যান্ড), ওয়েস্টার সস কিংবেল (থাইল্যান্ড), ইয়ংক্রোন কিংবেল (থাইল্যান্ড), ক্রাঞ্চি চিপস এবং টমেটো ক্যাচআপ কিংবেল (থাইল্যান্ড) ইত্যাদি। এগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য দুই কোটি টাকা। জব্দকৃত খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার রকিবুল হাসানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড, সহকারী ম্যানেজার কামরুল হাসান ও প্রধান ডিস্ট্রিবিউটর সাইফুল ইসলামকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ২ মাসের কারাদণ্ড এবং লজিস্টিক অফিসার জাহিদ আলমকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, মোড়ক উৎপাদন ও পরিবর্তনসহ নিজেরাই সিল তৈরি করে অ্যাসিটোন দিয়ে আগের লেখা মুছে ফেলে নতুন করে উৎপাদন তারিখ ও অন্যান্য তথ্য লিখে দিত তারা। পরে বিদেমি নামিদামি কোম্পানির সিল ও লোগো ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে বাজারজাত করতো। এছাড়াও অবিক্রিত থাকায় ভুয়া মেয়াদও উত্তীর্ণ হলে আবার তারা মেয়াদ বাড়িয়ে বাজারজাত করতো। বাংলামেইল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের জামসেন গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের দুই ভাই-বোনসহ অকালে পাঁচজন মারা গেছে। ওই রোগে শিশুসহ অন্তত আরো ৩০-৩৫ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন- আবুল হাসেমের মেয়ে জান্নাত কলি (৯), ফৌজদার মিয়ার দুই সন্তান রবিকুল (৪) ও মাসুদা (১৩), সমেদ আলীর ছেলে ফজলু (৪৮) ও রবন খাঁ (৭৫)। এদিকে ওই রোগে মৃত্যু বরণকারী রবণ খাঁর ছেলে নূর ইসলাম (৮), নয়ন মিয়ার সন্তান সাগর (৮) ও জাকিয়া (২) এবং তাদের মা হলুদা আক্তার (৩০), আবু তাহেরের মেয়ে হীরা মনি (৬), তার বোন নীলা মনি (৪), কালাম মিয়ার সন্তান শরীফ মিয়া (৬), মুক্তা আক্তার (৮), রেখা আক্তার (২১), রুখসানা (১০) এবং মৃত্যুবরণকারী কলির ভাই অলিসহ (৭) আরো অনেকে আক্রান্ত হয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। শুক্রবার রাতে এই প্রতিবেদক কলমাকান্দা সীমান্তের জামসেন গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, অজ্ঞাত রোগে মৃত ব্যক্তিদের ঘরে কান্নার রোল। আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও পাড়া পড়শিদের মাঝে এক ভয়ঙ্কর উদ্বেগ- উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। অজ্ঞাত রোগে ৯ বছর বয়সী কন্যা হারানো মনুজা বেগম (৪০) বুক চাপড়িয়ে বলেন, ‘গুটি বসন্তের মতো সারা শরীর মাইয়াডার গা ভইরা যায়। জ্বর, ব্যাথায় অস্থির হইয়া পড়ে। উপায় না দেইখ্যা কবিরাজ দিয়া ঝাড় ফুঁ দেওয়াই, কিন্ত কিছুতেই কিছু না হওয়ায় গত বিষ্যুদবার নেত্রকোনা শহরে নিয়া ডাঃ আনিছুর রহমানের চিকিৎসা নেওয়াই। কিন্তু সন্ধ্যায় মাইয়াডা আমার মইরা গেল। পোলা অলিডাও ওই রোগে আক্রান্ত হইয়া চিৎকার করতাছে।’ এর আগে একই বাড়ির ফৌজদার মিয়ার দুই ছেলে-মেয়ে পাঁচদিনের মাথায় মারা যায়। ২০-২৫ দিন আগে রবন খাঁ ও ফজলু মিয়া ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অথচ ওই গ্রামে আক্রান্ত রোগীদের বাড়ির পাশে জামসেন কমিউনিটি ক্লিনিকে জুয়েল, সুজন নামে দুইজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকা সত্ত্বেও তারা কোনো খোঁজ-খবর, পরামর্শ বা চিকিৎসার বিষয়ে এগিয়ে আসেননি বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। গ্রামবাসী আরো অভিযোগ করেন- প্রায় মাসাধিককাল ধরে ওই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকজনের অকাল মৃত্য হলেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের খোঁজ-খবরই রাখেননি। তাদের নির্বিকার ভূমিকায় ওই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অজ্ঞাত ওই রোগটি গুটি বসন্ত আবার কেউ জলবসন্ত বলে ধারণা করলেও ডাক্তাররা তা স্বীকার করেননি। তবে ওই রোগের নাম তারাও বলতে পারছেন না। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎহীন, শিক্ষাবঞ্চিত জামসেন গ্রামের সাধারণ লোকদের মাঝে আতঙ্ক এখন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ভয় ও আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। গত বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় শিশু জান্নাত কলির মৃত্যুর সংবাদ সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছার পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ঘুম ভাঙতে শুরু করে। শুক্রবার সিভিল সার্জনসহ অনেকে ছুটে যান অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত জামসেন গ্রামে। গ্রামবাসী ওই রোগটিকে গুটি বসন্ত বললেও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা রোগটি চিহ্নিত করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা ঢাকায় বিশেষজ্ঞদের কাছে জানার চেষ্টা করছেন গুটি বসন্তের মতো হলেও আসলে এটি কোন ধরনের রোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় জামসেন গ্রামের ওই রোগে আক্রান্ত মোঃ লাল মিয়া (৬৫) বলেন, ‘গুটি বসন্তের মতো সারা শরীর গুটি গুটি হইয়া জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হয়। আক্রান্ত কারো কারো আবার ডায়রিয়াও হইছে। এর মধ্যে পাঁচজনতো মইরাই গেল। শহরে গিয়ে চিকিৎসা করাইবার মতন ট্যাহা-পয়সা আমরার নাই, তাই ফকির ও কবিরাজের ঝাড়- ফুক নিতাছি। আজকে ডাক্তারা আইয়া দেহি দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। কিন্তু কোনো সমাধান দিয়া যাই নাই।’ উদ্বিগ্ন আবুল হাসেম বলেন, ‘মেয়েকে হারিয়েছি, ছেলেও আক্রান্ত। কী করবো কোথায় চিকিৎসা করাবো কিছুই বুঝতে পারতাছিনা।’ নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাঃ বিজন কান্তি সরকার অজ্ঞাত রোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রোগটি নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। ভাইরাস জাতীয় ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। রোগটি সনাক্ত করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আই.ই.ডি.সি.আর-এ পাঠানো হয়েছে। রোগটি শনাক্ত করা গেলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।’ উৎসঃ নয়া দিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য Gert, gFgk7hkkdGLN, 23 Jul,2016 08:30am What an awesome way to explain this-now I know evryitheng! Joan, CE18xSA89Cp, 17 Oct,2016 07:21pm This ariltce keeps it real, no doubt. সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 24 Dec, 2015 সামান্য জ্বর, কাশি? তাতেও অ্যান্টিবায়োটিক। কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এতেই স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে পড়ছে রোগীরা। বিভিন্ন অলিগলির দোকানিরাও এখন ডাক্তার! দোকানদাররা শুধু অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই ক্ষতিসাধন করেন না, বেশির ভাগ সময় তারা অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো কোর্স না দিয়ে দুই-এক ডোজ প্রদান করেন। যেটা রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বাইরের দুনিয়ায় রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ তো দূরের কথা, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির কোনো নিয়ম নেই বলেও তারা উল্লেখ করেন। অথচ আমাদের দেশে এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদাসীন বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের হাতে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সংক্রামক রোগ বেশি, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজনও বেশি। কিন্তু বিশ্বে যত ওষুধ তৈরি হচ্ছে তার মাত্র নয় ভাগ কেনে উন্নয়নশীল দেশগুলো। উন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি এখন অসংক্রামক ব্যাধির দিকে। উন্নত দেশগুলো নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে খুব একটা আগ্রহী নয়। কাজেই বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, একদিকে যেমন আরও নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়া প্রয়োজন তেমনি একই সঙ্গে সরকার ও সাধারণ মানুষের উচিত হবে অ্যান্টিবায়োটিকের সুচিন্তিত ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যা বলছে: গেলো বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণুগুলো ওষুধ প্রতিরোধী এবং ওষুধের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব না হলে অচিরেই খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মৃত্য হবে মানুষের। বিশ্বের ১১৪টি দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর প্রথম প্রতিবেদন দিয়েছিল সেই বছর। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট, ভাইরাস অথবা ছত্রাকজনিত কারণে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার ঝুঁকির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারণ স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা। বিশ্বব্যাপী অনেক সংক্রমণের ঘটনাই একটি নিত্যদিনের বিষয়। নিউমোনিয়ায় সংক্রমিত হয় ফুসফুস, মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়, রক্তপ্রবাহে সংক্রমণ ঘটে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়রিয়ার সংক্রমণ এবং যৌনসংসর্গের কারণেও বিভিন্ন যৌনরোগ সংক্রমণের বিস্তার ঘটে। বিশ্বের সর্বত্রই নিয়মিতভাবে এসব সংক্রমণ ঘটছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেসব রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সেসব দেশে ওইসব রোগ মোকাবিলার ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে তুলা ধরা হয়। প্রতিবেদনে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও রক্তের সংক্রমণের জন্য দায়ী সাতটি আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের ওপর দুটি প্রধান অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এগুলো আর কাজ করছে না। এদের একটি কার্বাপেনম। নিউমোনিয়া, রক্তে প্রদাহ ও নবজাতকদের দেহে প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, চিকিৎসকরা এ ধরনের ওষুধ বেশি ব্যবহার করায় এবং রোগীরা ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ায় জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। মূত্রতন্ত্রের প্রদাহে যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে গত শতকের আশির দশক থেকে তা খুব কম কাজ করছিল। বর্তমানে এ রোগের ওষুধ একেবারেই অকার্যকর হয়ে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়। গনোরিয়ার মতো রোগে বছরে ১০৬ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে চলেছে। পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এ অঞ্চলেই বাস করে। এই অঞ্চলের কিছু কিছু অংশে অ্যান্টিবায়োটিক এখনই কোনো কাজ করছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আমাদের দেশে জীবাণুগুলো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অন্যতম কারণগুলোর একটি ওষুধের দোকানগুলোতে কোনো ধরনের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা। অনেক সময় দেখা যায়, ওষুধ বিক্রেতারাই হয়ে ওঠেন ডাক্তার। সামান্য জ্বর সর্দিতেও কোনো বাছবিচার না করে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে বলেন, এটা খান ঠিক হয়ে যাবে। এটি অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। দোকানদাররা শুধু অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই ক্ষতিসাধন করেন না, বেশির ভাগ সময় তারা অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো কোর্স না দিয়ে দুই-এক ডোজ প্রদান করেন। যেটা রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাইরের দেশে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ তো দূরের কথা, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। অথচ আমাদের দেশে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদাসীন। কেইস স্ট্যাডি: ঢাকার পলাশী বাজারের ব্যবসায়ী সুমন মিয়া। গত কয়েক মাসে আগে তার স্ত্রীর টাইফয়েড জ্বর হয়। এজন্য চিকিৎসকের কাছে যান তারা। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়াযী সাত দিনের অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স দেন তার স্ত্রীকে। ৫শ’ এমজির দুটি করে প্রতিদিন অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের নির্দেশ দেন চিকিৎসক। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, তারা স্ত্রী চারদিন ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর কমে যায়। এরপর তার স্ত্রীকে জোর করেও ওষুধ খাওয়ানো যায়নি। অথচ সাত দিন খাওয়ার কথা ছিল। এখন প্রতি রাতে আবার তার স্ত্রীর জ্বর ওঠে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সুমন বলেন, সচেতনতার অভাবে তার স্ত্রী চিকিৎসকের নির্দেশ থাকার পরেও ওষুধ খায়নি। রাজধানীর মুগদাস্থ কাজী ফার্মেসির দোকানি সবুজ মিয়া বলেন, রোগীরা দোকানে এসে অনেক সময় দ্রুত রোগ সাড়ার ওষুধ চান, প্রেসক্রিপশন দেখান না। চাইলে বলেন, প্রেসক্রিপশন লাগবে না। আগে ওষুধ দেন। তখন বাধ্য হয়ে ওষুধ বিক্রি করি। অনেক সময় রোগীরা পুরো ডোজের ওষুধ নিতে রাজি হন না বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের আশ্রয়স্থল গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা পল্লী চিকিৎসকরা। অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে কোনো ধরনের জ্ঞান না থাকার পরও একশ্রেণির পল্লী চিকিৎসক তাদের ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লেখেন। শুধু তাই নয়, রোগীকে দ্রুত সারিয়ে তোলার জন্য কোন কোন পল্লী চিকিৎসক এক সঙ্গে কয়েক পদের অ্যান্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। এই অ্যান্টিবায়োটিকে বিরোধী ব্যাক্টেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে। এদিকে, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বা কেনার মাধ্যমে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তার জন্য অনেক সময় দায়ী রোগী বা তার অভিভাবক নিজেই। ডাক্তাররা রোগ বুঝে কয়েক দিনব্যাপী অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কথা বলেন। অর্থাৎ সাত দিন বা ১৫ দিনের কোর্স কমপ্লিট করতে বলেন। কিন্তু অসচেতন রোগীরা তিন-চার দিন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেলে আর খান না। ফলে পরবর্তীতে ওই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। এভাবেই রোগীদের অসচেতনতার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারায়। অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন যেসব রোগী তারা দেখেন তার বেশির ভাগই তুলনামূলক অনুন্নত শহর থেকে আসেন। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, পল্লী ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে কোনো ধারণা না নিয়ে রোগীর ওপর মাল্টিপল ওষুধ ব্যবহার করেছেন। রোগীকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য এক সঙ্গে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন। ব্যাপারটা এমন, পল্লী চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না কিন্তু অন্যায়ভাবে দুই-তিনটা অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন, যা খেয়ে আপাতত রোগী ভালো হয়। এ ধরনের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে আরও একটি ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়, তারা অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স শেষ করেন না। দেখা গেল, ডাক্তার সাত দিনের কোর্স লিখেছেন কিন্তু রোগী সেই অ্যান্টিবায়োটিকটা চার দিন খেয়ে খানিকটা সুস্থ হওয়ায় পরে আর সেবন করেননি। ফলে শরীরের ভেতরে নিস্তেক হয়ে যাওয়া রোগ জীবাণুগুলো অ্যান্টিবায়োটিক বিরোধী হয়ে ওঠে এবং পরে আবার সক্রিয় হয়ে অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে দেয়। ফার্মেসির কর্মচারী বা মালিকই ডাক্তার হয়ে যান। এটা সত্যিই জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বিপজ্জনক। মূলত এসব কারণেই অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং সামনে আমাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। এখনই অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে বলে তারা মনে করেন। ডাক্তারদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরে অনেক চিকিৎসকই বলেন, আমরা ডাক্তারদের একটি সমস্যা আছে। অনেক সময় দেখা যায়, যেখানে অল্প মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক বা পুরনো একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই কাজ হবে সেখানে রোগীকে দ্রুত আরোগ্য করার জন্য ডাক্তাররা সর্বশেষ জেনারেশনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন। অথচ এ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের প্রিজার্ভ করার কথা বা নির্দিষ্ট কোনো রোগে ব্যবহার করার কথা। সামান্য রোগে দ্রুত আরোগ্যের জন্য এসব অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ক্ষতিকর। এভাবেও অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারায়। কোনোক্রমেই রেজিস্টার্ড, ডাক্তার ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। ডাক্তারদের সর্বশেষ জেনারেশনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ব্যাপারে আরও সংযমি হতে হবে। রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স পূর্ণ করার ব্যাপারে জোর দিতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অসুখ ভালো হয়ে গেলেও অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স অবশ্যই পূরণ করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপত্রে লেখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, চিকিৎসাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক পরামর্শ দেয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা যেমন- কী ধরনের ওষুধ পল্লী চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিধিনিষেধের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের বর্ণিত মাত্রার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয় না বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। অ্যান্টিবায়োটিক ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য ঘরে সংরক্ষণ করা যাবে না। এতে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ একবার ব্যবহারের পর কিছু দিন গ্যাপ হয়ে গেলে সেই সিরাপের মেয়াদ দীর্ঘদিন থাকলেও তা ব্যবহার করা যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও খাওয়া উচিত নয়। দোকানদারা কেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করবেন? অযাচিতভাবে ছোটখাটো রোগের কারণে অ্যান্টিবায়োটিকে সেবন করলেও বড় রোগে অ্যান্টিবায়োটিককে আর কাজ করবে না। কঠিন কোনো ব্যাধি সহজে সাড়বে না। বিষয়টি নিয়ে সত্যিকার অর্থে ভাববার সময় এসেছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চলতে থাকলে একসময় অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারাবে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য তা হবে মারাত্মক হুমকি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বেশ কিছু কারণে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ছে। গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার কর্তৃক অনুমাননির্ভর বিনা প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি এবং ব্যবহার। এ বিষয়ে হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। তিনি বলেন, অযাচিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এর কার্যকারিতা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রথমত রোগীকে বুঝতে হবে তার যে কোনো রোগের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অথচ আমাদের দেশের জনগণ টাকা খরচের ভয়ে নিজেই যে কোনো একটা ফার্মেসিতে গিয়ে ডাক্তারি ভাব নিয়ে ওষুধ কিনে খান, যার ফলে রোগ ভালো হয় না। উৎসঃ মানব জমিন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 18 May 2016, Wednesday জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে, না এর রূপান্তর ঘটছে- এমন জিজ্ঞাসা সবার। সম্ভবত দলটির আমির-মহাসচিবসহ শীর্ষনেতাদের অনুপস্থিতি এ ধারণা পুষ্ট করেছে। এ ধারণাও প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, জামায়াত নিজের উদ্যোগে পাল্টে যাওয়ার দায়বোধ করে না। সংস্কারের গরজও নিজ থেকে উপলব্ধি করেছে বলে অনেকের ধারণার অতীত। এটা মিথ্যা নয় যে, রাষ্ট্রশক্তি বা তৎকালীন সরকার জামায়াতকে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শুরুতে জামায়াতের উদ্ভব। বার বার রাজনৈতিক বিষয় আষয় নিয়ে জামায়াত এক্সপেরিমেন্ট করলেও গুণগত পরিবর্তনের ধারায় যায়নি। অনেক চড়াই-উৎরাই দলটিকে কতটা প্রতিরোধশক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ দিয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা ‘সময়’, রাষ্ট্রশক্তির চাপ, বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি দলটিকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করেছে। নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য অংশ কারাবন্দী। শীর্ষ নেতাদের প্রায় বেশির ভাগ বিয়োগান্তক ট্র্যাজেডির শিকার। অসংখ্য কর্মী জেলে। অফিসগুলোতে তালা ঝুলছে। অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে পাঁজর ভেঙে দেয়া হয়েছে। মামলা ঝুলছে হাজার হাজার। হুলিয়ার অন্ত নেই। এমন পরিস্থিতিতে কারো আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে না। জামায়াতের নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা আগের মতোই কতটা টিকে আছে- এ দাবি নিয়ে সংশয় দেখা দিতেই পারে। এখন শোনা যাচ্ছে, দলটির নেতৃত্বের যে অংশটি কার্যত আত্মগোপনে থেকে বিবৃতি সাজাচ্ছেন, তাদের সাথে মাঠের কর্মীদের সেতুবন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই জনশক্তিবহুল দলটির পারঙ্গমতার মিথ আর এখন সেভাবে নেই। তাই বাধ্য হয়ে রূপান্তরিত প্রক্রিয়ায় একবিংশ শতকের উপযোগী করে দল না সাজালে আরো বিপর্যয় অনিবার্য বলেই কারো কারো ধারণা। তাই বোধ করি, ভেতর থেকেও সংস্কারের একটা গুঞ্জন রয়েছে। পর্যবেক্ষক নয়, বিশ্লেষকের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলব- জামায়াত যে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে, তা নতুন নয়। রূপ ও ধরন এক না হলেও মিসর থেকে তুরস্ক পর্যন্ত কম করে সাতটি উপমা দেয়া সম্ভব। যারা সময়ের সাথে লাগসই হয়ে টিকে আছে এবং মূল স্রোতে উঠে এসেছে। যারা পারেনি, তারা জায়গা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এটা শুধু যোগ্যতমদের টিকে থাকা নয়, আদর্শিক বিবেচনার বিষয়ও। জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রচুর ঔৎসুক্য রয়েছে। নেতৃত্বসঙ্কটে পড়া জনশক্তিবহুল জামায়াত যে ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছে, হুবহু মিল না হলেও আওয়ামী লীগ, জাসদ, বামপন্থী ধারা ও বিএনপিকে কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে হয়েছে। এখনো ঠেকাতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-উত্তর আওয়ামী লীগ, জিয়া-উত্তর বিএনপি ঘুরে দাঁড়ালেও জাসদ ও বাম ধারা আর আগের অবস্থানে উঠে আসতে পারেনি। ভাববার বিষয় হলো, এত বিপর্যস্ত হওয়ার পরও জামায়াত কতটা সঙ্কটে রয়েছে, কী পরিমাণ বিব্রত, সেটা জানার জন্যও অনেকের আগ্রহ চোখে পড়ে। দলটি মিসআন্ডারস্টুড বা ভ্রান্তির বেড়াজালে নাকি রহস্যঘেরা, সেটাও এক প্রশ্ন বটে। এ দলটিকে যারা ভালো মনে করেন তারা বেশি ভালো মনে করেন, দলটির নেতৃত্বের দোষত্রুটি সীমাবদ্ধতা কিছুই দেখেন না। অখণ্ড আস্থায় নেন। যারা পছন্দ করেন না, তারাও যুক্তিহীন ভাবাবেগমিশ্রিত ঘৃণা উদগীরণ করেন। সম্ভবত দু’দিকের প্রান্তিক ভাবনা দলটিকে সঠিক মূল্যায়নের জায়গায় রাখে না। ভক্তদের মধ্যে তৈরি করে এক ধরনের মিথ, বিদ্বিষ্ট্রদের যুক্তিহীন সমালোচনা-নিন্দা- যা অনেক সত্য ও বাস্তবতাকে আড়ালে ঠেলে দেয়। প্রতিষ্ঠার পর কম করে তিনবার নিষিদ্ধ হওয়া এবং কয়েকবার রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়া দলটি নিয়ে কৌতুহল ও বিতর্ক কখনো কম ছিল না। তত্ত্বীয় ও নীতিগত প্রশ্নে সমালোচনা কখনো পিছু ছাড়েনি। একাত্তর-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে জামায়াত পুনর্গঠিত হওয়ার পর অল্প সময়ে শক্তি ও সামর্থ্য দুটোই সঞ্চয় করেছে। এর সাথে আদর্শিক ও রাজনৈতিক বিরোধিতাও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। দলটি বোধ করি, এখন ইতিহাসের এক ‘নাজুক’ সময় অতিক্রম করছে। এটি তাদের রাজনৈতিক ভুলের খেসারত, নাকি নীতিবিচ্যুতির প্রায়শ্চিত্ত, সেই প্রশ্নের জবাব চাওয়ার মতো মুখপাত্রও এখন খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বাম ও ইসলামপন্থীরা, এমনকি কোনো কোনো বিপ্লবী আন্দোলন আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স করে থাকে। গণতান্ত্রিক বিচারে এ ধরনের চরমপন্থা এক ধরনের হঠকারিতা বলে বিবেচিত হলেও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বা প্রতিপক্ষ নিপীড়ক রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের কৌশল বিপ্লবীদের কাছে ন্যায়সঙ্গত হিসেবেই বিবেচিত হয়। জামায়াত ধীরে ধীরে সেদিকে যাচ্ছে কিনা, কিংবা সরকার সেদিকে ঠেলে দিচ্ছে কিনা, সেটা বাংলাদেশের বাস্তবতায় সব পক্ষকে ভেবে দেখা উচিত। বিশেষত জনশক্তিবহুল জামায়াতকেই ভাবতে হবে তারা ‘সময়’ ও বাস্তবতা মেনে দেশ-জাতির মূল ধারায় কতটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পৃক্ত হবে, কিভাবে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের অ্যাসেট কি, লায়বেলিটিজ কোনটি, তা নিয়েও না ভেবে উপায় নেই। জামায়াত দাবি করে, তারা গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয়। কেন গতানুগতিক দলের বাইরে তাদের দেখতে হবে- সে ব্যাপারে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। তারা ক্ষমতার রাজনীতি করে, ক্ষমতা শেয়ার করে, রাজনৈতিক শত্রু-বন্ধু ভাবনায় মন্দের ভালো বাছাই করে, প্রচলিত রাজনীতির আবর্তে থাকে- তার পরও কেন গতানুগতিক নয়, সে জবাব দেয়ার মতো মুখপাত্র এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ, প্রকৃত মুখপাত্ররা এখন অতীত। নতুন প্রজন্ম কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অর্গল ভাঙ্গার সাধ আছে, সাধ্য নেই। জামায়াত নিজেই নিষিদ্ধ হতে আগ্রহী; নতুন প্রজন্ম একাত্তরের দায় নিতে চায় না; যেসব নেতার সাথে একাত্তর সম্পৃক্ত, তাদের এড়িয়ে নতুন নেতৃত্ব পুনর্গঠিত দল পরিচালনা করতে আগ্রহী; সে ক্ষেত্রে নামের মোহ নতুন প্রজন্মকে আচ্ছন্ন করে না। এ ধরনের ধারণাগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়। জামায়াতের কোনো স্তরের নেতা প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করেছে বলে কোনো মিডিয়ায় চোখে পড়েনি। মিডিয়া ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ জামায়াত নেতাদের উদ্ধৃতি দিতেও কার্পণ্য করে না। জামায়াত আসলে কী ভাবে, সে বিষয়টি কারো কাছে শতভাগ স্পষ্ট আছে বলে মনে হয় না। সম্ভবত বেশির ভাগ জামায়াত নেতাও জানেন না তাদের কর্মকৌশলের ধরন কী হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবেন। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে জামায়াত নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন মন্তব্য ঠাঁই পাচ্ছে। দলটির ভবিষ্যৎ ভাবনা এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে মনে হয় জামায়াত অনেক চিন্তা ও রূপকল্প নিয়ে ভাবছে। নিষিদ্ধ হলে কী করবে তাও জানিয়ে দিচ্ছে। তা হলে জামায়াতের সঙ্কট কোথায়! রাজনৈতিক ভুলের খেসারত বা মাশুল রাজনৈতিকভাবে দিতে হয়। যেমন রাজনৈতিক মোকাবেলা রাজনৈতিকভাবে না করলে রাজনীতির মাঠে টেকা যায় না। আমরা জানি না, জামায়াত রাজনৈতিক ভুলগুলো শনাক্ত করেছে কিনা এবং সেই চিহ্নিত ভুলগুলো কী। এটা সত্য যে, রাজনৈতিক ভুলের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবার এবং ভুলের দায় নেয়ার সংস্কৃতি অনেক পুরনো। দেশবাসীর একটি অংশ মনে করে, জামায়াত প্রকাশ্যে ও ঋজু ভাষায় ভুল স্বীকার করে না। ‘যদি’ ‘কিংবা’ ‘কিন্তু’ যোগ করে যা বলে তাতে ভুলের স্বীকৃতি সেভাবে থাকে না। জনগণ সরাসরি বার্তাটি পায় না। এ বক্তব্য অংশত সত্য ভাবেন কেউ কেউ। অনেকের ধারণা, ভুলের স্বীকৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেও পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে না। অপবাদ ঘুচবে না। আপদও কাটবে না। কারণ এসব অপবাদ একটি লক্ষে পৌঁছতে দেয়া হয়। জামায়াতের কোনো কোনো মুখপাত্র একসময় বলতেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা, সংবিধান, রাষ্ট্রাচার, আইন-কানুন মেনেই তারা রাজনীতি করছেন। গঠনতন্ত্র সংশোধন করেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে বসেছেন সংবিধান সনুন্নত রেখেই। তা ছাড়া একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার প্রমাণ নেই। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর ভেতর থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডত্বের সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। যেমন মুজিবনগর কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়া ৯ মাস ধরে লাখো লাখো কর্মকর্তা-কর্মচারী ইয়াহিয়া সরকারের আদেশ-নিষেধ মেনে চাকরি করেছেন এবং পাকিস্তানি সরকার টিকে থাকতে সাহায্য করেছেন। এই যুক্তি খণ্ডন করে অনেকেই বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আর রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক নয়। পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন না জোগালে মুক্তিযুদ্ধ ন’ মাস প্রলম্বিত হতো না, এত লোক ক্ষয় হতো না। তা ছাড়া সশস্ত্র অবস্থান আর চাকরি করা সমার্থক হতে পারে না। দলনিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের অভিমত হচ্ছে, এখন প্রশ্ন একাত্তর নয়, জামায়াত নয়; প্রশ্নটা মৌলিক এবং সেটা বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন বিন্যাস নিয়ে। প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির বিচারে জামায়াতের অস্তিত্ব যেমন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে, তেমনি বিএনপি-আওয়ামী লীগও সঙ্কটমুক্ত নয়। আওয়ামী লীগ যেভাবে মাঠ সাজিয়েছে- এ মাঠসজ্জা উনিশ সালে পাল্টে যাবে না, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? শেখ হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগ আজকের দাপুটে অবস্থানে মোটেও থাকবে না। এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ কি ফকফকা? বৃহত্তম বিরোধী দল হয়েও খালেদা জিয়াবিহীন বিএনপিও এই অবস্থানে থাকবে- এ আশা বৃথা। তারেক রহমান এসে হাল ধরলে আলাদা কথা। সময়ের ব্যবধানে গ্লোবাল ও রিজিওনাল পরিস্থিতিও পাল্টে যেতে পারে। পাল্টে যেতে পারে ভারতীয় রাজনীতির নীল নকশাও। এখনো নিজামীদের মৃত্যুদণ্ড ভারতকে খুশি করে, পাকিস্তানকে বিব্রত করে। আঞ্চলিক রাজনীতির এ বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে, এড়ানো যাবে না। ভারতের প্রভাববলয়ের মধ্যে বাঙালি মুসলমানদের স্বার্থ যেমন ষোলআনা অক্ষুণ্ন থাকবে না, তেমনি শক্তিমান বাংলাদেশও অনেকের কাম্য নয়। আমাদের জাতীয় রাজনীতির আসল ক্রাইসিস কোনো দলের সাময়িক সঙ্কট নয়। বিশেষ দলের ভবিষ্যৎ ভাগ্যও নয়। ইসলামি দলও নয়। হ্যাঁ, ইসলামের রাজনৈতিক উপস্থাপনা, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ও ভারতীয় ইগোর সাথে সঙ্ঘাত সৃষ্টি করে। বামপন্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ ঘটায়। এটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের একটা কারণ। একমাত্র কারণ নয়। প্রকৃত ক্রাইসিস জাতীয় রাজনীতির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। অস্তিত্ববিনাশী একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতাচর্চার খেসারত। বাস্তবেই আমাদের নির্বাচনব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। সংসদ আস্থাহীন। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের রাহুমুক্ত নয়। দলবাজ সিভিল ও অন্যান্য ব্যুরোক্রেসি ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে পরিতৃপ্ত, আবার পেশাদারিত্ব হারিয়ে পঙ্গুও। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। লুটেরা চক্র ডিজিটাল ডাকাতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতি হয়ে পড়েছে একমুখো ভারসাম্যহীন। এ অবস্থায় ফিতা কাটা ও উদ্বোধনের রাজনীতি শেষ কথা নয়। কিছু কসমেটিক উন্নয়ন আর মেগা প্রজেক্ট রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকতায় টেনে তুলবে না। দলবাজ ও একচোখা মিডিয়া এক ধরনের প্রোপাগান্ডা যন্ত্রের রূপ নিয়েছে। ভিন্নমতকে খামোশ করে রাখতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদ ও বোধহীন ক্ষমতাচর্চার বেপরোয়া ভাব আর রাখঢাক অবস্থায় নেই। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মুখে কালো কাপড় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তাই আসল সঙ্কট চিহ্নিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে- এমনটি দাবি করার সুযোগ নেই। বরং রাজনীতি গভীর খাদের কূলে এসে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে জামায়াত-অজামায়াত, ডান-বাম চিন্তা মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে- রাজনীতির ব্যাকরণ পাল্টে দিয়ে, গণতন্ত্রের কবর দিয়ে দেশ ও জাতির দণ্ডমুণ্ডের মালিক-মোখতার হওয়া শেষ রক্ষার উপায় কি না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্রের আইয়ুবি ধারণার শেষ পরিণতি কী হতে পারে, তা মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিশেষ দল ফ্যাক্টর নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের যে অভিযোগ আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা ও অপদস্ত করার যে ওভার কনফিডেন্স আমরা দেখাচ্ছি, সেটা আমাদের অসহনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে কি না, সেটাও ভাবছি না। ভাবছি না উত্তরণের উপায় নিয়েও। [email protected] উৎসঃ dailynayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: বিএনপিকে সরকার ও ইসি জিতিয়ে দিলো Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] বিএনপিকে সরকার ও ইসি জিতিয়ে দিলো 07 April 2016, Thursday ’১৪ সালের ৫ জানুয়ারির কলঙ্ক ঘুচল না। সরকার কলঙ্ক মোচনের কোনো চেষ্টা করেনি। বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর করে দেয়ার মধ্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে অর্জন ভেবেছে। ক্ষমতার মোহ অন্ধত্ব বাড়িয়েছে। শ্রবণেন্দ্রিয় অকার্যকর করে দিয়েছে। সরকার সুযোগ করে দিলে কিংবা সদিচ্ছা দেখানোর দায় বোধ করলে উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই কলঙ্ক ঘোচানোর সুযোগ ছিল। সর্বশেষ সুযোগ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন নীতি-নৈতিকতা, চক্ষুলজ্জা ও জনগণের ইচ্ছার ধার ধারল না। ক্ষমতার কাছে সঁপে দেয়া বিবেক জাগ্রত করল না। এত ধিক্কার ও ঘৃণার পরও এ কমিশন আর মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াল না। এই কমিশন পূর্বাপর কলঙ্কিত। দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দায় প্রধানত তাদের। বাস্তবে, কার্যত এবং আক্ষরিক অর্থে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এবার শেষ হওয়া দু’টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বীভৎস চেহারা আর লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। সঙ্ঘাতের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছে নারী, শিশু, হকার, সাধারণ ভোটার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও। এর দায় ইসি বা নির্বাচন কমিশনের। সরকারও এ দায় এড়াতে পারে না। সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আগে দ্রুত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলো আর এই কমিশনের অধীনে হওয়া উচিত নয়। বাস্তবে এখন আর জনগণের অংশগ্রহণে ভোট হচ্ছে না। দেশে নির্বাচনের রাজনীতির কবর হয়ে গেছে। যা হচ্ছে তা দস্যুবৃত্তি এবং জনগণকে দেখিয়ে প্রকাশ্যে হচ্ছে। ভোটারদের বাদ দিয়েই নির্বাচন হচ্ছে। অনেকেই ভোট দিতে পারছেন না। ভোট দেয়ার আগ্রহ আর অবশিষ্ট নেই। যারা ভোট দিচ্ছেন তারাও স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারছেন না। আগামী দিনে সরকার পরিবর্তনেও জনগণ আর স্বাধীন মতামত দিতে পারবে না; যদি না তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ও ইসি পুনর্গঠিত হয়। যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হচ্ছে না, সেখানেই যখন শক্তিপ্রয়োগ করে অন্যায়ভাবে বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে, সরকার পরিবর্তনের নির্বাচনে ভোট হওয়া দূরের কথা, ডাকাতিও হবে না। একটা ইচ্ছাপত্রকে নির্বাচন বলে চালিয়ে দেয়া হবে। ঠাণ্ডা মাথায় নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থাহীনতা চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে গেছে। স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার আর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই। আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দল বুঝতে চাইল না, তারা আস্থা নামের কত মূল্যবান বিষয় হারিয়ে ফেলল। জনগণের ভোটের আমানত নষ্ট করার পরিণতি কী আল্লাহই ভালো জানেন। ৫ জানুয়ারি থেকে ইউপি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জনগণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল করেছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আর সম্ভব নয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করার জন্য ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, পক্ষপাতিত্ব, ভয়-ভীতি দেখানো এবং সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। জনগণ ধরেই নিয়েছে ক্ষমতাবানেরা যেকোনো মূল্যে জিতবে, কিংবা বিজয় ছিনিয়ে নেবে। প্রতিপক্ষ মাঠেও থাকতে পারবে না। ক্ষমতাবানেরা যেভাবে চায় সেভাবে নির্বাচন হবে। তাদের ক্ষমতা একক ও নিরঙ্কুশ করার ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা অর্থহীন। ক্ষমতাবানদের জন্যও সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ, তারা বিএনপিকেই কার্যত জিতিয়ে দিলো। অনেকটা ‘কতলে হোসাইন মর্গে ইয়াজিদ’-এর মতো। অর্থাৎ হোসাইন রা: কারবালায় অসম যুদ্ধে নিহত হলেও পরাজিত হয়েছে ইয়াজিদ। সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে অনেক আগেই, এবার আস্থা নামের বস্তুটার ‘জানাজা’ হলো। আওয়ামী লীগ বেশুমার ভোট ছিনতাই ও ডাকাতি করেছে। তাদের বিজয় দেখানো হয়েছে। বাস্তবে জিতে গেছে বিএনপিসহ সব প্রতিপক্ষ। গণতন্ত্রে ভিন্নমত না থাকলে কিংবা সহ্য না করলে, ক্ষমতাবানেরা কেমন বেসামাল হয়ে পড়তে পারে, তার জন্য আর কোনো মহড়ার দরকার নেই। সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, বিরোধী দল মিথ্যা বলেনি। বিদেশী সংস্থার রাজনৈতিক ও মতলবি জরিপ বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। সরকারকে কারা সনদ দিলো, কোন সংস্থা ভেট দিলো। সরকারপ্রধানের জন্য কি পুরস্কার বরাদ্দ হলো- তা নিয়ে জনগণের আবেগ থিতিয়ে পড়েছে। আস্থা ও ভরসার জায়গাটা নষ্ট হওয়ার পর জনগণ নিরুত্তাপ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা এবং নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর দায় সরকার এড়াবে কিভাবে? বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বললেন, ‘ইসি নড়েও না চড়েও না। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি লজ্জায় মুখ লুকাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে।’ বাস্তবে লজ্জাটা সরকারের। গ্লানিটাও তাদের। বিরোধী দলের এখন ঐক্য ছাড়া হারাবার কিছু নেই। এখন সরকার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকেইবা অস্বীকার করবে কোন যুক্তি দেখিয়ে? জোর করতে গিয়ে এটাও প্রমাণ হলো, দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী-মাস্তান ছাড়া অন্য মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাবে কেন! দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার ব্যাপারে বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। এ বিষয়ে বিএনপি একটি মূল্যায়নও তুলে ধরেছিল। বিএনপির এ মূল্যায়নও সরকার সঠিক প্রমাণ করে দিলো। জনগণ বিশ্বাস করেছে- বিরোধী দল ভুল বলেনি। এখন প্রকাশিত ফলাফল, ভোটের হার, সরকারি দলের জয়জয়কার- কোনোটার প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তাই সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে নির্বাচনের চরিত্র বিশ্লেষণ করার আর কোনো সুযোগ রইল না। আস্থার জায়গাটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। পুরো নির্বাচনসংস্কৃতিতে বিচ্যুতি এসে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হওয়ার পর আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। মানুষের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে ভয়, শঙ্কা আর আস্থার সঙ্কট সৃষ্টির পর নির্বাচন কার্যত অর্থহীন। সরকার ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দায়িত্ব নেয়নি। নির্বাচন কমিশন সত্যি সত্যিই ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে গেছে। প্রশাসন ক্ষমতার আজ্ঞাবহ হয়ে আছে। সুবিধাভোগী ও ক্ষমতার রাজনীতির উচ্ছিষ্টভোগীরা হাত-পা ছড়িয়ে বসেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে করলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে, তা-ও এখন পরীক্ষিত সত্য। যারা মনে করেন, ৫ জানুয়ারির প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কফিনে ঢোকানো হয়েছিল; আর এবারের সহিংসতা ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেকটি মারতে উদ্যত হয়েছে। তাদের এই ঋজু মন্তব্য খণ্ডন করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপিসহ সব বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চেয়েছে। একতরফা গায়েবি সিদ্ধান্তের আগে আওয়ামী লীগও তা চেয়েছিল। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার দাবিদারও আওয়ামী লীগ। কাদের ইঙ্গিতে সেটা উপড়ে ফেলা হলো এখন জানাটা জরুরি। জনগণ জেনেছিল, অ্যামিকাস কিউরির মতামত স্পষ্ট ছিল। জনমত ছিল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে অভিন্ন। সব কিছু লণ্ডভণ্ড করা হলো কি আজকের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য? এ প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব এখন সরকারের কাছেও নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন গরিষ্ঠ মানুষ চেয়েছে দলনিরপেক্ষ হোক। সরকার কোনো মতকেই শ্রদ্ধা দেখাল না। এখন মনে হচ্ছেÑ অতি প্রাকৃতিক কোনো ইশারায় আওয়ামী লীগ নৈতিকভাবে হেরেছে। বিএনপিই জিতেছে। এখন যেকোনো নির্বাচন বর্জন করার যৌক্তিক কারণ বিরোধী দলের হাতের মুঠোয়। অন্য দিকে, ক্ষমতা ও রাষ্ট্রশক্তি কর্তৃত্ববাদী সরকারের কব্জায়। উত্তরণের খোলা পথ দুটো। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং নির্বাচন কমিশনের খোল নলচে পাল্টে ফেলা। দুটোই সরকারের হাতে। এখন দুধ দিয়ে গোসল করলেও সাফ সুতরা হওয়া যাবে না। খাছলত পাল্টাবার বিষয়। তাই কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। কারণ ক্ষমতার বিষাক্ত ছোবল এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। পাপের বোঝা বাড়তে বাড়তে নাক পর্যন্ত এসে গেছে। তবে সম্মানজনক সমাধানের রাস্তা এখনো খোলা। কারণ, কার্যত বিরোধী দল আলোচনার মাধ্যমে এখনো রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশী। আলোচনায় বসুন। ভিন্নমত ও বিরোধী দলকে আস্থায় নিন। জাতীয় সঙ্কটের ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে জাতিকে নিষ্কৃতি দিন। উৎসঃ নয়াদিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: শি জিনপিংয়ের সফর সামনে রেখে চীনা বৈশিষ্ট্যের সমাজতন্ত্র পাঠ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাহবুব উল্লাহ [email protected] শি জিনপিংয়ের সফর সামনে রেখে চীনা বৈশিষ্ট্যের সমাজতন্ত্র পাঠ 11 October 2016, Tuesday চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। অনেক বছর পর চীনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা বাংলাদেশে আসছেন। এটি শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর। এর আগে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে তিনি ভারতের গোয়ায় যাবেন। ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য। ব্রিকস ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক জোট। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ সমস্যা নিয়ে ব্রিকস সম্মেলনের মূল অধিবেশনের বাইরে ভারতীয় ও চীনা নেতৃত্বের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হতে পারে বলে কূটনীতিবিদরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার ঢাকা সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ১৭ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করতে পারেন বলে বাংলাদেশী মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে এই ধারণা বাস্তবতার মুখ দেখে, তাহলে এটি হবে বাংলাদেশের জন্য বড় রকমের প্রাপ্তি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবকাঠামোর গুরুত্ব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা বলে চিহ্নিত করেছেন। এদিক থেকে বিচার করতে গেলে চীনের এই অর্থনৈতিক সহায়তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চীন যেভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে সক্ষম, বিশ্বের অন্য কোনো দেশের পক্ষে সেই পরিমাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব নয়। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে চীন এত বড় ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানে সক্ষম ছিল না। চীনা নেতারা বিভিন্ন বিশ্ব সংস্থায় চীনকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই চিহ্নিত করতেন। চীন এখনও একটি উন্নয়নশীল দেশ। তবে উন্নয়নের পথপরিক্রমায় চীন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। চীন এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। বিগত বছরগুলোতে চীনে দ্রুত হারে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ফলে। চীনের এই বিস্ময়কর উন্নয়ন অনেক পর্যবেক্ষকের চোখে ধাঁধা মনে হয়। প্রশ্ন হল, চীন কী করে এমন বিস্ময়কর উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হল? ১৯৪৯-এর অক্টোবরে চীন বিপ্লব পূর্ণ সাফল্য অর্জন করে। ১ অক্টোবর ১৯৪৯ বেইজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কয়ারে দাঁড়িয়ে চীন বিপ্লবের নেতা মাও জে দং দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘চীন উঠে দাঁড়িয়েছে।’ সেদিন উঠে দাঁড়ানোর পর চীনকে আর কখনও নত হতে হয়নি। বিপ্লব-পূর্ববর্তী চীনা সমাজ ছিল একটি আধা ঔপনিবেশিক ও আধা সামন্ততান্ত্রিক সমাজ। ১৯৩৫-এ জাপানি সাম্রাজ্যবাদীরা চীনের বিরাট ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছিল। অধিকৃত এলাকায় জাপানি আগ্রাসনবাদীরা চীনা নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার ও গণহত্যা চালিয়েছিল। সাংহাইয়ের মতো বাণিজ্যিক শহর ৪টি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজস্ব কর্তৃত্বাধীন এলাকা হিসেবে ভাগ করে নিয়েছিল। চীন বিদেশী প্রভুদের হাতে বহু অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আপসহীন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দেশটি সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদের অভিশাপমুক্ত হয়। চীনে এক ধরনের পুঁজিবাদী ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, যাকে মাও জে দং আমলাতান্ত্রিক পুঁজি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এই পুঁজিবাদ ছিল সাম্রাজ্যবাদের মুৎসুদ্দি। চীনে জাতীয় পুঁজিরও কিছু বিকাশ ঘটেছিল, তবে তা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। আধা ঔপনিবেশিক ও আধা সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চীনকে হীনবল ও দরিদ্র করে রেখেছিল। সমাজ কাঠামোর এসব প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি নিশ্চিত করেছিল চীন বিপ্লব। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বাদশ কংগ্রেসে চীনা নেতা দেং শিয়াও পিং চীনের বিপ্লবী ইতিহাসের একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেন। এই কংগ্রেসটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮২। দেং শিয়াও পিং তার ভাষণে বলেন, ১৯৪৫-এ কমরেড মাও জে দংয়ের সভাপতিত্বে সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেস ছিল গণতান্ত্রিক বিপ্লবের স্তরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেসে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ এর আগের ২৫ বছরে অর্জিত ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার সার সংকলন করেন। এর মধ্য দিয়ে একটি সঠিক কর্মসূচি ও রণকৌশল প্রণয়ন সম্ভব হয়। পার্টির অভ্যন্তরে বিদ্যমান ভুল ধারণাগুলো দূর করা সম্ভব হয়। এভাবে মার্কসবাদ, লেনিনবাদ এবং মাও জে দংয়ের চিন্তাধারার আলোকে উপলব্ধির ঐক্য অর্জন সম্ভব হয়। সপ্তম কংগ্রেসের মধ্য দিয়েই জাতীয় ভিত্তিতে নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবে বিজয় অর্জনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৯৫৬ সালের কংগ্রেসে ব্যক্তিগত সম্পত্তির সমাজতান্ত্রিক রূপান্তরের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা হয় এবং সর্বাত্মক সমাজতান্ত্রিক নির্মাণের দায়িত্ব জাতির সামনে তুলে ধরা হয়। দেং শিয়াও পিংয়ের দৃষ্টিতে এটি ছিল সঠিক লাইন। তবে পার্টি তখনও সর্বাত্মক সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। এই কংগ্রেসে অনেক সঠিক ধ্যানধারণা তুলে ধরা হলেও সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। অষ্টম কংগ্রেসের পর সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণে অনেক সাফল্য অর্জিত হলেও অনেক মারাত্মক বিপর্যয়ের ঘটনাও ঘটেছে। দ্বাদশ কংগ্রেসে এসে অষ্টম কংগ্রেসের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেং শিয়াও পিং বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কীভাবে সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ চালিত করবে সে ব্যাপারে গভীরতর উপলব্ধি অর্জন করেছে। তিনি বলেছেন, এই কংগ্রেসে গৃহীত সঠিক কর্মসূচি সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এবং তাদের পার্টি, তাদের সমাজতান্ত্রিক পথ এবং তাদের দেশ ও সব জাতি গোষ্ঠীর সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। দেং শিয়াও পিং ঘোষণা করলেন, আধুনিকায়ন কর্মসূচি অবশ্যই চীনা বাস্তবতাকে ধারণ করবে। বিপ্লব ও বিনির্মাণের ক্ষেত্রে চীনকে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যান্ত্রিকভাবে বিদেশী অভিজ্ঞতা ও মডেলের অনুসরণ ও প্রয়োগ চীনকে বেপথু করে ফেলবে। চীনা জনগণকে অবশ্যই মার্কসবাদের বিশ্বজনীন সত্যের সঙ্গে চীনের বাস্তব পরিস্থিতির সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এই পথ হবে চীনের নিজস্ব পথ এবং এই সমাজতন্ত্র হবে চীনা বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকেই চীনকে এই সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে। চীনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে চীনের সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতির আলোকে এবং চীনা জনগণের দ্বারা। স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতা বরাবরই ছিল চীনের অবস্থান এবং ভবিষ্যতেও এ অবস্থান অব্যাহত থাকবে। চীনা জনগণ অন্য দেশ ও জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে মূল্যবান মনে করে। কিন্তু তার চেয়েও মূল্যবান মনে করে তার কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌম অধিকারকে। কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের ভাবা সঠিক নয় যে, চীন কখনও তাদের করদ রাজ্য হবে। অন্যদিকে চীন কখনও তার জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কিছু মেনে নেবে না। চীন একাগ্রচিত্তে বহির্বিশ্বের সঙ্গে মুক্তদ্বার নীতি অনুসরণ করবে এবং সক্রিয়ভাবে বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক উপযোগিতার ভিত্তিতে লেনদেন ও বিনিময় করবে। দেং শিয়াও পিং আরও বলেন, তারা তাদের মগজ পরিষ্কার রাখবেন, দৃঢ়তার সঙ্গে ক্ষয়িষ্ণু আদর্শের দূষণ মোকাবেলা করবে এবং কখনোই চীনে বুর্জোয়া জীবনযাত্রা ছড়িয়ে পড়তে দেবেন না। দ্বাদশ কংগ্রেসে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে চীনা বৈশিষ্ট্যের সমাজতন্ত্রের তত্ত্বটি তুলে ধরা হয়। এ তত্ত্বের অন্যতম অনুষঙ্গ হল মুক্তদ্বার নীতি ও সংস্কার। চীন দীর্ঘদিন ধরে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী ঘেরাওয়ের কবলে পড়েছিল। এর ফলে চীন বৈদেশিক সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও চীনকে ঘেরাও করে রাখার কৌশল জারি রয়েছে। মুক্তদ্বার নীতির কিছু কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চীনা নেতারাই সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন। কারণ খোলা জানালা দিয়ে শুধু নির্মল বায়ুই প্রবাহিত হয় না, কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়ও আসে। মুক্তদ্বার নীতির অংশ হিসেবে চীনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে চীন পুঁজির স্বল্পতা, প্রযুক্তির ফারাক এবং ব্যবস্থাপনার ফারাক অতিক্রম করতে পেরেছে। চীনে সংস্কার কর্মসূচি হিসেবে প্রথম প্রবর্তিত হয় উৎপাদন দায়িত্ব প্রথা। এর সঙ্গে সঙ্গে বড় হাঁড়িতে রান্না করে সবাই ভাগ করে খাওয়ার কমিউন প্রথা বাতিল করা হয়। কমিউন প্রথায় সমভাবে ভাগ করে খাওয়ার নীতি থাকলেও এ প্রথায় উৎপাদন বৃদ্ধির প্রণোদনা ছিল না। উৎপাদন দায়িত্ব প্রথা প্রবর্তনের ফলে চীনের কৃষকরা নিজেদের ভোগ ও রাষ্ট্রীয় করের দায় পালনের পর উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে বিক্রির স্বাধীনতা লাভ করে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যদিও জমি ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়নি। কৃষক রাষ্ট্রের কাছ থেকে জমি লিজ নিতে পারে। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বাজারের সুযোগ নেয়ার সুবিধা শিল্পায়ন ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি বয়ে আনে। বিপ্লব-পূর্ব চীন ছিল আধা ঔপনিবেশিক ও আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ। এ রকম সমাজ ব্যবস্থায় উৎপাদিকা শক্তির প্রচণ্ড ঘাটতি থাকে। সমাজতন্ত্র একটি উন্নত উৎপাদন সম্পর্কের সমাজ ব্যবস্থা। যতদিন পর্যন্ত উৎপাদিকা শক্তির প্রয়োজনীয় বিকাশ এবং প্রযুক্তির উন্নত মান অর্জন করা সম্ভব হয় না, ততোদিন পর্যন্ত উন্নতর সমাজ সম্পর্ক নির্ভর সমাজতন্ত্রও নির্মাণ করা সম্ভব হয় না। এজন্যই চীনকে তার বাস্তব সামাজিক পরিস্থিতির আলোকে চীনা বৈশিষ্ট্যের সমাজতন্ত্রের নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে। মার্কসবাদী বিজ্ঞান বলে, বস্তুর কাম্য বিকাশকে এড়িয়ে গিয়ে স্বপ্নবিলাসের বশবর্তী হয়ে কোনো উন্নত সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং আধা ঔপনিবেশিক, আধা সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বিপ্লবের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর সমাজতন্ত্রে উত্তরণের পথটি হবে জটিল, আঁকাবাঁকা এবং কখনও অদ্ভুতও বটে। এ কারণেই মার্কিন সমাজতান্ত্রিক তাত্ত্বিক পল এ বারান বলেছিলেন, অনুন্নত দেশের সমাজতন্ত্রও অনুন্নত। সমাজতন্ত্রের পথে এই জটিলতা ও আঁকাবাঁকা অবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো অনুধাবন করতে পারেনি বলেই সেসব দেশে সমাজতন্ত্র ধসে পড়েছে। মার্কস বলেছিলেন, উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবে। কিন্তু ঘটনা ঘটল তার বিপরীত। অনুন্নত রাশিয়া ও চীনে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হওয়ায় বিপ্লবের পথপরিক্রমায় নানাবিধ জটিলতা দেখা দিয়েছে। দেং শিয়াও পিং একটি অবাক করা উক্তি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ধনী হওয়া খারাপ কিছু নয়। বস্তুত সমাজতন্ত্র হচ্ছে সবাই মিলে ভাগ করে নেয়া প্রাচুর্য। বর্তমান চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে চীনকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। তিনি চীনা স্বপ্নের কথাও বলেছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে চীনা নেতারা জ্ঞান সাধনা ও জ্ঞান সাধকদের ওপর প্রভূত গুরুত্ব দিয়েছেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য হাজার হাজার চীনা ছাত্রছাত্রীকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই দেশে ফিরে এসে মাতৃভূমির সেবায় আÍনিয়োগ করেছে। আবার কেউ কেউ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও বিদেশী গবেষণাগারে গবেষণায় নিয়োজিত হয়েছে। শি জিনপিং চীনা স্কলারদের বিদেশে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি নেই বলে তার এক বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন। বর্তমান বিশ্বায়িত বিশ্বে কে কোথায় অবস্থান করল সেটি বড় বিষয় নয়। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ছোট হয়ে আসা এই পৃথিবীতে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত যে কোনো জ্ঞানপিপাসু যে কোনো স্থান থেকে নিজ দেশের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে অবদান রাখতে পারেন। এদিক থেকে চীনা নেতারা একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। শি জিনপিংয়ের একটি অতি সৃজনশীল কর্মসূচি হল থাউজেন্ড স্কলার্স স্কিম। এই স্কিম অনুযায়ী বিদেশী পণ্ডিত ও অধ্যাপকদের চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং গবেষণাগারে ৫-৬ বছরের জন্য অত্যন্ত শোভন পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়োগ করা হয়। এরা চীনের জ্ঞান অবকাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যাচ্ছেন। চীন হার্ভার্ড ও ক্যামব্রিজের মানের অন্তত তিনটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে বিপুল বিনিয়োগ করছে। চীনের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে এসে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ছাত্রছাত্রীরা গণিত শাস্ত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য প্রদর্শন করছে। গণিত সব ধরনের বিজ্ঞানের মাতৃসম। জ্ঞান ও জ্ঞানী মানুষের প্রতি চীনা নেতৃত্বের এমন গুরুত্ব প্রদান চীনের উন্নয়নের টেকসই যাত্রাকে নিশ্চিত করছে। চীনে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে বলে উদ্বেগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দেং শিয়াও পিং বলেছেন, ‘গ্রামে ও শহরে কিছু মানুষকে অন্যদের আগে ধনী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মানুষ তার কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সমৃদ্ধ হবে, এটাই ন্যায্য কথা। কিছু জনগোষ্ঠী এবং কিছু অঞ্চল প্রথমে সমৃদ্ধ হবে- এই উন্নয়ন হবে সবার সমর্থনে। এই নতুন পথ পুরাতন পথের চেয়ে উত্তম।’ চীনা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সমাজতন্ত্র এ রকম জটিলতা ও আঁকাবাঁকা পথের কথাই বলছে। আমাকে একজন চীনা পণ্ডিত বলেছিলেন, চীনে সমতা অর্জনের হাজার পথ তাদের জানা আছে, কিন্তু সমৃদ্ধি অর্জনের পথ খুব একটা জানা নেই। সমাজতন্ত্র দারিদ্র্যের বণ্টন নয়, পুঁজিপতিদের এই গ্লানিকর মন্তব্য ভুল প্রমাণ করার পথেই এগোচ্ছে চীন। এমন একটি দেশের অভিজ্ঞতা আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় খুব কাজে আসতে পারে। ড. মাহবুব উল্লাহ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক উৎসঃ যুগান্তর পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 06 Sep, 2016 অশান্ত সমুদ্রে নিরাপদ দ্বীপ থাকতে পারে না 24 Aug, 2016 শিক্ষাব্যবস্থার মান-সংকট নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে 16 Aug, 2016 গণতন্ত্রের চাপ প্রতিরোধ করা বড় কঠিন কাজ 09 Aug, 2016 অর্জন আছে, তা রক্ষার তাগিদ নেই 04 Aug, 2016 সামাজিক অন্যায় ও অর্থের পূজাই জঙ্গিবাদ তৈরি করে 02 Aug, 2016 তরল ভীতির করাল গ্রাস সর্বত্র 26 Jul, 2016 ভবিষ্যতের কথা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ 19 Jul, 2016 জাতীয় সংকটে তুরস্ক যা পেরেছে আমরা কেন তা পারি না? 12 Jul, 2016 অসাম্যই যত নষ্টের মূল 14 Jun, 2016 আইনের শাসন বুঝি, শৃংখলার শাসন বুঝি কি? 02 Nov, 2015 রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতায় তমসাবাদের উত্থান 27 Oct, 2015 নেপালের ওপর ভারতের অঘোষিত অবরোধ 13 Oct, 2015 মাৎসুলেনকোবিকৃত নগর রাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ 06 Oct, 2015 বিদেশে স্বদেশী, স্বদেশে বিদেশীর লাশ 22 Sep, 2015 খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ফোকলা করে ফেলছে 15 Sep, 2015 রাজনৈতিক স্থবিরতায় বিক্ষুব্ধদের আন্দোলন 08 Sep, 2015 গ্রেসহামের সূত্রের কবলে বিশ্ববিদ্যালয় 01 Sep, 2015 আমাদের কি সত্যিই গলায় দড়ি দিতে হবে? 18 Aug, 2015 শুধু বললেই হবে না আইনের শাসন চাই 11 Aug, 2015 কেন এই সামাজিক অস্থিরতা 28 Jul, 2015 বাংলাদেশের বৃক্ষ অর্থনীতি 21 Jul, 2015 অন্ধ বাজারপ্রীতি কি বাঞ্ছনীয়? 14 Jul, 2015 যে ব্যাধি আমাদের মৃত্যু ঘটাবে 30 Mar, 2015 সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রাসঙ্গিক ভাবনা 09 Mar, 2015 নারীর মমত্ব ও মাতৃহৃদয়ের মর্যাদা দিতে হবে আগে Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বিদেশিদের করের আওতায় আনতে তথ্যভাণ্ডার হচ্ছে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় বিদেশিদের করের আওতায় আনতে তথ্যভাণ্ডার হচ্ছে 11 Oct, 2016 বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে তাদেরকে কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। ফলে কর ফাঁকি রোধের পাশাপাশি মুদ্রা পাচার ও চোরাচালানের মত ঘটনা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে সভাপতি করে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি তথ্যভাণ্ডার তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এনবিআরের একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে পাঁচ লাখের অধিক বিদেশি নাগরিক দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত কর দিচ্ছেন মাত্র ১১ হাজার। বিদেশি নাগরিকদের সঠিক হিসাব বা তথ্যভাণ্ডার না থাকায় তাদেরকে করের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তবে এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি হলে এসব বিদেশি নাগরিকদের সহজেই করের আওতায় আনা যাবে। এ প্রসঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের আয়করবিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও এনবিআরের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে তথ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি রোধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ টাস্কফোর্স দুটি মূলত মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। আবুল কালাম আজাদ জানান, টাস্কফোর্স দুটি এরই মধ্যে সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত বিদেশি কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে একটি সফটওয়্যার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদেশিদের আগমন ও বহির্গমনের সব তথ্য এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত হবে। আগামী অর্থবছরে মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের এই তথ্যভাণ্ডারের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এনবিআরের প্রথম সচিব। এনবিআরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে বিদেশিরা কাজ করছেন। তবে দেশী প্রতিষ্ঠান তাদের সঠিক তথ্য এনবিআরকে দিচ্ছে না। এর বাইরে অনেক বিদেশি অবৈধভাবেও দেশে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে। ফলে বিষয়টি রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব বিদেশিকে তথ্যভাণ্ডারের মধ্যে আনতে বিনিয়োগ বোর্ড ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বিমানবন্দরে আয়কর বুথ স্থাপন করে বিদেশিদের আগমন ও বহির্গমনের তথ্য নেওয়া হবে। বিদেশি নাগরিকের আয়কর নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে স্পন্সর বাধ্যতামূলক করাসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশিদের ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তনে এনবিআরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আয়কর প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে। উৎসঃ এনটিভি প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: এবার অগ্রণী ব্যাংকে বড় অঙ্কের অনিয়ম Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় এবার অগ্রণী ব্যাংকে বড় অঙ্কের অনিয়ম 11 Oct, 2016 রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকে আবারও বড় অংকের ঋণ বিতরণে অনিয়ম ধরা পড়েছে। জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক তদন্তে নিয়ম লঙ্ঘন করে ৯টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৫৩২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের তথ্য মিলেছে। এ ছাড়া একশ' কোটির ওপরে খেলাপি রয়েছে, এমন ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। সংসদীয় এই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আ. খ. ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে সংসদীয় কমিটি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তদন্ত চালায়। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না মেনে ঋণ বিতরণ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যাংকটি ঋণ পুনঃতফসিল করে কিস্তির টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের অনুকূলে আনতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণ বিতরণে অনিয়মে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং কিছু ক্ষেত্রে আদালতে না গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে পাওনা আদায়ের চেষ্টা চালানোর সুপারিশও করেছে কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে সোনালী ব্যাংকের বহুল আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান হলমার্কের ঋণ আদায়ের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটি চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য আ. খ. ম জাহাঙ্গীর হোসাইন সমকালকে বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার ওপর খেলাপি গ্রাহক ও ঋণ বিতরণে অনিয়ম ঘটছে এমন বিষয়গুলো নিয়েও সংসদীয় কমিটি কাজ করেছে। কমিটি ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। কমিটি এসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছে। কমিটি পরের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেই পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল-ইসলাম সমকালকে জানান, সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন। এতে উলি্লখিত ঋণ নিয়ে বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অডিট করানো হচ্ছে। অডিট প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ নিয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। শামস-উল-ইসলাম বলেন, 'ঘটনা যাই হোক, কিছু ঘটনার পর ব্যাংকটি এক ধরনের ইমেজ সংকটে পড়েছে। ইমেজ পুনরুদ্ধারে বর্তমান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শাখা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।' আগামী ডিসেম্বর নাগাদ খেলাপি ঋণ কমবে বলে তিনি আশা করেন। অনিয়মের কারণে চলতি বছরের জুনে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমানকেও একই কারণে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অবস্থায় সংসদীয় কমিটি নতুন ঋণ অনিয়মের সন্ধান পেল। কিছু দৃষ্টান্ত :অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখায় ইলিয়াছ ব্রাদার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির জন্য জামানত ছাড়াই একাধিকবার ক্যাশ এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব ঋণ পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে এবং পুনঃতফসিল করার পর আবার খেলাপিও হয়ে পড়েছে। ব্যাংক এখন ওই কোম্পানির কাছে পাবে ২২৫ কোটি টাকা। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসডিএস ইন্টারন্যাশনাল (ঢাকা) নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর আইনি পদক্ষেপের পরিবর্তে অনিয়মিতভাবে তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। এরপরও ব্যাংক টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির কাছে বর্তমান পাওনা ১৫১ কোটি টাকা। সাত্তার টেক্সটাইল মিলস (ঢাকা) নামে একটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা ৪৮ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া রুমা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩৫ কোটি টাকা, এসকেএম জুট মিলসের কাছে ২০ কোটি, গুডউইল বেসিক কেমিক্যালের কাছে ১৭ কোটি, ওয়ানটেল কমিউনিকেশনের কাছে ১৩ কোটি, সাঈদ টেক্সটাইলের কাছে ১৩ কোটি এবং এপিটি ফ্যাশনের কাছে ৯ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ব্যাংকটির। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং অনিয়মিতভাবে পুনঃতফসিল করেও তা আদায় করা যায়নি। ১০০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ ১৫ প্রতিষ্ঠানের :১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রত্যেকের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার ওপরে খেলাপি ঋণ রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। মোট ২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বর্তমানে খেলাপি এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মুন বাংলাদেশের কাছে ১৩১ কোটি ৯০ লাখ, এমআর ট্রেডিংয়ের কাছে ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ, জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের কাছে ১৩৮ কোটি ৫০ লাখ, মিজান ট্রেডার্সের কাছে ৮৬ কোটি ৬২ লাখ, রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েলের কাছে ১২৯ কোটি ৪৫ লাখ, চিটাগং ইস্পাতের কাছে ১৩০ কোটি ২২ লাখ, নূরজাহান সুপার অয়েলের কাছে ১০৪ কোটি ২২ লাখ, খালেক অ্যান্ড সন্সের কাছে ৩৬৩ কোটি ২৮ লাখ, ম্যাকশিপ বিল্ডার্সের কাছে ১৭১ কোটি ৯০ লাখ, মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ১৬১ কোটি ৯৫ লাখ, মাররিন ভেজিটেবল অয়েলের কাছে ৪৪৬ কোটি ৬ লাখ, সামান্নাজ সুপার অয়েলের কাছে ১০৩ কোটি ৮৬ লাখ, ইলিয়াছ ব্রাদার্সের সুপার অয়েল রিফাইনারির কাছে ৩৭৪ কোটি ১৫ লাখ, সিদ্দিক ট্রেডার্সের কাছে ২৫০ কোটি ৪০ লাখ এবং সরদার অ্যাপারেলসের কাছে ১১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওনা অগ্রণী ব্যাংকের। টাকা উদ্ধারের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে ব্যাংকটি। তদন্ত কমিটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছে। হলমার্ক চালুর সুপারিশ :হলমার্কসহ বিভিন্ন খেলাপি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ব্যাংকের বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে গ্রাহকের দায় বাড়ছে। কিন্তু মামলার রায় ব্যাংকের পক্ষে এলেও বন্ধকিকৃত ও বন্ধকের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি পর্যাপ্ত দলিলপত্রের অভাবে সঠিক মূল্যে বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাই পুরো টাকা আদায় করাও সম্ভব হবে না। হলমার্কের জামানত ঘাটতিই রয়েছে ৬৫৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মামলা নিষ্পত্তিতে ব্যাংককেও আরও অনেক টাকা খরচ করতে হবে। এতে লাভের চেয়ে লোকসানের আশঙ্কাই বেশি। হলমার্কের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব রয়েছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানায় ব্যাংকের প্রকল্প ঋণের আওতায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ মূল্যবান মেশিনারিজ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঋণগ্রহীতা মালিক গ্রেফতার/পলাতক থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে মূল্যবান মেশিনারিজ স্ক্র্যাপে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ করে হলমার্কের কারখানাগুলো চালু করে ব্যাংকের দায় সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। উৎসঃ সমকাল প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 27 April 2016, Wednesday ক. আলোচিত সাংবাদিক কলামিস্ট শফিক রেহমানের দ্বিতীয় দফা রিমান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার স্ত্রী তালেয়া রেহমান। নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকৃতি আদায়ের অভিযোগও তিনি করেছেন। শফিক রেহমান এখন আইনি জালে আটকে আছেন। রাজনীতিবিদ না হয়েও রাজনীতির খপ্পরে পড়েছেন। সাংবাদিক-কলামিস্ট মাহমুদুর রহমানের ওপর নতুন করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের খড়গ ঝুলছে। কুৎসিত রাজনীতির রাহু তাকে আগেই গিলেছে। ইতোমধ্যে ‘রিমান্ড’ ব্যবস্থা আইনের মর্যাদা হারিয়ে একটা নিপীড়ন অস্ত্রের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আইনে যা-ই থাকুক বাস্তবে বিচারের আগে শাস্তি পাইয়ে দেয়া কিংবা তদন্তেরও আগে নরক যন্ত্রণার মধ্যে ছুড়ে ফেলার আধুনিক নাম রিমান্ড। খুন, গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো রিমান্ডও একধরনের বিভীষিকা ও আতঙ্কের নাম। শফিক রেহমানকে সত্য গোপন করে তার স্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে বাসা থেকে তুলে আনায় সব নাগরিকের মনে একটা প্রশ্ন- যে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে তার সাথে শফিক রেহমানের দূরতম সম্পর্ক থাকাও সম্ভব কি না। তথ্য জানার স্বার্থে কান খাড়া করা ছাড়া শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের অন্য কোনো সংযোগ থাকা আদৌ সম্ভব কি না, এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলবে নির্মোহ তদন্তে, রিমান্ডে নয়। কোনো ষড়যন্ত্রের তথ্য জানা অন্যান্য ঘটনার মতোই একটি খবর, তাই বলে কোনো তথ্য জানার আগ্রহ ষড়যন্ত্র করার উপমা নয়। তা ছাড়া একজন সাংবাদিকের কাছে তথ্য পায়ে হেঁটে আসে। সাংবাদিক নিজেও তথ্য জানার চেষ্টা করেন। তথ্যের উৎসমূলে পৌঁছতে সচেষ্ট থাকেন। সাংবাদিকের কাছে তথ্য থাকা একটি স্বাভাবিক বিষয়। এরই মধ্যে কম করে দু’দফা আনুষ্ঠানিকভাবে শফিক রেহমানের রিমান্ড বাতিল ও মুক্তি চেয়েছেন তার স্ত্রী তালেয়া রেহমান। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংহতি অনুষ্ঠানও হয়েছে। সংহতি অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যরাও গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক শফিক রেহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফোরামও তার মুক্তি দাবি করেছে। সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন। তালেয়া রেহমান মনে করেন, একেবারে মিথ্যা ও বানোয়াট একটি কারণ দেখিয়ে শফিক রেহমানকে বাসা থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তালেয়া রেহমান প্রশ্ন তোলেন যে ব্যক্তি হিংসা ও হানাহানির বিপরীতে ভালোবাসা দিবস প্রচলন করেছেন, সেই লোকের নামে হত্যার অভিযোগ উঠল! এটা হতেই পারে না। এটা একেবারেই মিথ্যা। এত বড় মিথ্যা তিনি সহ্য করতে পারছেন না। শফিক রেহমান অনেক বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারেন। সাংবাদিক হিসেবে জানতে হয় বলেই জানেন। পেশার স্বার্থে জানেন। নিজের আগ্রহের কারণেও জানতে পারেন। এর সাথে কোনো ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র থাকার প্রশ্ন ওঠে না বলেই তালেয়া রেহমান মনে করেন। রাজনৈতিক কোলাহলজনিত কারণে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে যিনি ভালোবাসা দিবস প্রচলন করেছেন সেই লোকের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠল! তালেয়া রেহমান শফিক রেহমানের সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবনের ঊনষাট বছর একসাথে কাটিয়েছেন। এখন পুলিশ ও সরকারি মহল থেকে যা বলা হচ্ছে, কাগজে যা আসছে, তা তার ৫৯ বছরের সাথে একেবারে অপরিচিত। তালেয়া রেহমানের দুঃখের আসল কারণ, শফিক রেহমানকে ‘অপরাধীর’ পর্যায়ে ফেলে দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই সম্ভব হওয়ার নয়। স্বজনকে নির্দোষ ভাবা কিংবা সহমর্মিতা পেতে সাফাই গাওয়া হয়। তালেয়া রেহমানের বক্তব্যে তা মনে হয় না। যে লোকটি আইনি প্রক্রিয়ায় ফাঁসির শাস্তিকে বা মৃত্যুদণ্ডকে অমানবিক ভাবেন। গবেষণা করে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জনমত গঠন করেন- তিনি হত্যার মতো জঘন্য অপরাধের ষড়যন্ত্র করতে পারেন- তালেয়া রেহমান তা বিশ্বাস করেন না। তার দৃঢ়বিশ্বাস শফিক রেহমান কাউকে হত্যার চেষ্টা করতে পারেন, তা অসম্ভব। এ ধরনের অসংখ্য তরুণ আছেন- যাদের সাথে রাজনীতির দূরতম সম্পর্কও নেই তারাও এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাস্তবতার সাথে মেলাতে পারছেন না। এটা ভক্তের অনুরাগ নয়, প্রতিষ্ঠিত ধারণার বিষয়। বিচার প্রক্রিয়াধীন বা তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কোনো মন্তব্য করব না। কিন্তু বিশ্বাস হোঁচট খেলে তার ওপর খবরদারির লাগাম পরাব কিভাবে! শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ একটি স্বাভাবিক বিষয়। শাসক পরিবারে খুনোখুনি ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ইতিহাসে অনেক কলেবর নিয়ে ঠাঁই পেয়েছে। জয় সরকার পরিচালনার সাথে জড়িত। এ ধরনের ষড়যন্ত্র তাকে নিয়েও হতে পারে। কেউ না কেউ জড়িতও থাকতে পারেন। কিন্তু শফিক রেহমান অতটা নির্বোধ হতে পারেন না বা হওয়ার কথা নয়। তাহলে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান কি পরিস্থিতির শিকার! সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য না হলে সরকারসংশ্লিষ্টরা চ্যালেঞ্জ করেনি কেন? পুলিশ কেন বলবে ‘রাজনৈতিক’ বক্তব্য। তাহলে আসল বক্তব্য কী? আমাদের চেনাজানা শফিক রেহমান ব্যতিক্রমী শ্রেণী চরিত্রের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের জায়গা থেকে আজকের দিন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য এই মানুষটিকে কখনো মিথ্যাবাদী, কপটচারী, দুরাচার কিংবা খল মনে হয়নি। কোনো তৎপরতা, কর্ম ও আচরণ দিয়ে প্রমাণ করা যাবে না শফিক রেহমান নিষ্ঠুর প্রকৃতির লোক। কিংবা অন্যের ক্ষতি করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। বরং উল্টো চরিত্রে তার পরিচিতিটা জাতির মনে ছাপ ফেলেছে। তারুণ্যের মনেও দাগ কেটেছে। সরকার তাকে অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু জনগণের ধারণা পাল্টাতে পারেনি। যে লোকটি কঠিন কথাও রম্য গদ্যে বলতে ভালোবাসেন, রসাত্মক গল্প সাজিয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেন- তার মাধ্যমে দশটা প্রেম করা সম্ভব, একটা মানুষকে জখম করা সম্ভব বলে মনে হয় না। সব কিছুকে আলাদা করে মানবিক বোধ-বিশ্বাস থেকে দেখা, ভাবা এবং উপস্থাপন করার যে পেশাগত সততা সেটা থেকে শফিক রেহমান বিচ্যুত হয়েছেন- আমাদের কাছে সেটা কখনো মনে হয়নি। বরং সাদাকে সাদা বলা ও সত্যকে সরাসরি উপস্থাপনের জন্য কয়েকবার তিনি সম্পাদক হিসেবে বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। তার চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছেÑ কোনো কিছুকে গভীর থেকে দেখা, আলাদা করে ভাবা, নিজের মতো করে মূল্যায়ন করা ও কান খাড়া রেখে নিজের ভেতর তথ্যের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা। তাকে প্রেমিক ভাবতে ভালো লাগে, রসিক বলতে যুক্তি খুঁজে পাই। ষড়যন্ত্র, হত্যা, যুক্তিহীন রাজনৈতিক বিদ্বেষ তার সাথে যায় না। হ্যাঁ, তার অনুসন্ধিৎসু মন তাকে সব কিছুতে কান খাড়া করতে উৎসাহিত করে। সাংবাদিক হিসেবে এটা তার গুণ, দোষ নয়। হয়তো কান খাড়া করা এবং চোখ খোলা রাখাটাই তাকে এই বয়সে রাজনৈতিক অভিযোগের বিষাক্ত তীর আঘাত হানল। শফিক রেহমান আর যা-ই হোন মুখোশ পরা বোবা শয়তান প্রকৃতির মানুষ নন। ধারণা মতে, শফিক রেহমান যে ধাতুর মানুষ তিনি গোয়েন্দাদের হতাশ করবেন না। সত্য লুকানোর মতো মানসিকতা তিনি লালন করেন না। কান খাড়া করে যা পাবেন কিংবা যা কিছু পেয়েছেন, জেনেছেনÑ তাই অকপটে বলে দেবেন। সেখানে হয়তো অনেক তথ্য থাকবে, ষড়যন্ত্রের লেশমাত্র থাকার কথা নয়। গোয়েন্দারা চাপ দিয়ে কোনো ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করাতে চাইলে তিনি হয়তো বিগড়ে যাবেন। জুলুম না করলে কিংবা তার বক্তব্য মতলবিভাবে উপস্থাপন না করলে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি হয়তো বস্তুনিষ্ঠ থাকবেন। তাই তালেয়া রেহমানের ধারণার মতোই আমাদের ধারণা শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে, কিন্তু নিয়তি তাকে ভোগান্তি থেকে সহসা মুক্তি দেবে বলে মনে হয় না। অথচ শফিক রেহমান বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল নিপাট ভদ্রলোক, সাধারণ অর্থে নিয়তিবাদী নন। খ. আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ২০০৬ সালে সরকারি দায়িত্ব পালন শেষ করার পর আর কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। তার মা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের এই বক্তব্য একজন মায়ের হতে পারে। কিন্তু আইনের ভাষা হতে পারে না। কারণ, ষড়যন্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া জরুরি নয়। বরং এটা গ্রহণযোগ্য যে, মাহমুদুর রহমান ষড়যন্ত্রের কথা হয়তো শুনে থাকবেন। তা-ও তার পেশাদারিত্বের কারণেই হয়তো শুনতে পারেন। জানতেও পারেন। এ জানা এবং শোনা তার সম্পাদকীয় এখতিয়ার, ষড়যন্ত্র নয়। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্ট কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে তার ছেলের কোনো সংশ্রব নেই জানিয়ে মাহমুদুর রহমানের মা মনে করেন, এ ব্যাপারে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে সে বিষয়ে জনগণকে প্রকৃত সত্য তথ্য জানানো বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ভাবা উচিত। একই সাথে তিনি মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একতরফা অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। মাহমুদুর রহমান ৭২টি মামলায় জামিন পাওয়ার পর আরো তিন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোয় অশীতিপর বৃদ্ধ এই মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আহাজারির সুরে বলেন, আমাকে জেলে নেয়ার বিনিময়ে হলেও আমার নিরপরাধ সন্তানকে মুক্তি দিন। মায়েরা সন্তানের সব ব্যথা কষ্ট নিজের ওপর নিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। মাহমুদুর রহমানের মা তার একমাত্র সন্তানের জন্য এই বয়সে আর কিই বা চাইতে পারেন। কারণ সন্তানের মতো এই মা-ও বিশ্বাস করেন সরকার তার প্রতিবাদী ও সত্যনিষ্ঠ সন্তানের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। মাহমুদা বেগম মনে করেন, মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখেন, পুলিশ ২০১১ সালের একটি কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। মাহমুদুর রহমান নাকি বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশনকে ফাঁকি দিয়ে ২০১১ সালে সবার অজান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছে। এই মা প্রশ্ন তোলেন, কোনো বিবেকবান মানুষ কি বিশ্বাস করবেন, শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের পরিকল্পনা করবেন? দু’জনই কি একেবারে নির্বোধ? বাংলাদেশের জনগণ তো জানে, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সব সদস্যই এসএসএফ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সেই এসএসএফের ভিভিআইপি নিরাপত্তার মধ্যে অপহরণের কল্পকাহিনী কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? মাহমুদা বেগমের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলের বক্তব্য এবং দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত পুলিশের দাবি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নাকি কথিত অপহরণ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তথ্য দিয়েছে। আর আমি নিশ্চিত, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যদি কোনো তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দিয়েও থাকে সেখানে আমার ছেলে মাহমুদুর রহমানের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে না। মার্কিন সরকারকে নীরব না থেকে এ বিষয়ে সব দলিলাদি স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমানের বৃদ্ধ মা বলেন, মার্কিন সরকার এবং বাংলাদেশে সে দেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের নীরবতার সুযোগ নিয়ে সরকার আমার ছেলেসহ এ দেশের অন্য নিরপরাধ নাগরিকদের হয়রানি ও নির্যাতন করবে এটা চলতে পারে না। মাহমুদা বেগম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করি, তিনিও একজন নারী ও মা হিসেবে আমার ব্যথা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী ছেলেকে অপহরণের যদি সত্যিই কোনো ষড়যন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সঠিকভাবে বাংলাদেশের জনগণকে জানানো একজন কূটনীতিকের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ধূম্রজাল সৃষ্টির সুযোগ দেয়া উচিত নয়। মাহমুদুর রহমানের মায়ের মতো দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকও একই ধরনের অভিমত দিয়েছেন। অনেকের মতো আমাদেরও আগ্রহ এফবিআইর যে প্রমাণ উপস্থাপনের কথা পুলিশের বরাতে জাতি জানল, সরকার সমর্থন জোগালো, তা ন্যায়বিচার ও ইনসাফের স্বার্থে জনগণকে জানতে দেয়া উচিত। অন্তত উচ্চ আদালতের কাছে সেটা হস্তান্তর করলে জাতি আপাতত আশ্বস্ত হতে পারে। সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এই মায়ের অনুরোধ কিংবা চ্যালেঞ্জটুকু গ্রহণ করবেন না কেন? মাহমুদা বেগম বলেন, আমি মাহমুদুর রহমানের অসহায় বৃদ্ধ মা। ২০০৯ সাল থেকেই আমি একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কেঁদেছি। প্রাণপণে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করেছি। আশা পোষণ করেছি সরকারের জিঘাংসারও নিশ্চয়ই একটা শেষ আছে। আমার ছেলে এবং পুত্রবধূকে নিয়ে তিনজনের ছোট সংসার আবার স্বাভাবিক শুরু করার আশাতেই তো আজো বেঁচে আছি। আমারই হয়তো দুর্ভাগ্য, সেই প্রত্যাশা সফল হয়নি। আজো একমাত্র সন্তানের ঘরে ফিরে আসার পথের দিকে তাকিয়ে আছি। একজন স্ত্র¿ী তার স্বামীর জন্য দেশ-জাতির সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তার স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি চান। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে মিথ্যা ভাবেন। একইভাবে একজন মা তার ভাষায় নির্দোষ সন্তানের জন্য আহাজারি করছেন। সারাক্ষণ প্রহর গুনছেনÑ কখন তার একমাত্র সন্তান তার কাছে মুক্ত হয়ে ফিরে আসবে। সেই ব্যথাতুর স্ত্রীর নাম তালেয়া রেহমান। সাংবাদিক শফিক রেহমানের স্ত্রী। একজন মানবাধিকার কর্মী। অন্যজন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মা মাহমুদা বেগম। একজন কলেজ শিক্ষিকা, অধ্যাপক। মা এবং স্ত্রী হিসেবে তারা এ সময়ের সাক্ষী। তারা জানেন, সময় তাদের প্রতিকূলে। তাই তারা প্রতিবাদী কিন্তু বিদ্রোহী নন। জনগণ ও রাষ্ট্রের কাছে নালিশ ঠুকেছেন। নির্বাহী বিভাগকে অভিযুক্ত করে উচ্চ আদালতের কাছে ইনসাফ চেয়েছেন। রাষ্ট্র, জনগণ ও উচ্চ আদালত নীরব থাকলে বিধাতা ক্ষমা করবেন কি! [email protected] উৎসঃ নয়া দিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 15 September 2016, Thursday শেষ পর্যন্ত জাদুঘর থেকে জিয়ার স্বাধীনতা পদকটি সরিয়ে নেয়া হলো। জাতীয় জাদুঘরে এ বিষয়ক কর্নারটিও আর থাকছে না। অন্তত এই সরকারের আমলে পদকটি আর জাদুঘরে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জের। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই এই পদক বিএনপি হয়তো আবার জাদুঘরে পুনঃস্থাপন করতে পারবে, নয়তো নয়। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন হজরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সরকার ঠাণ্ডা মাথায় জিয়ার নাম বিমানবন্দর থেকে সরিয়েছে। সক্ষমতা সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল বলেই সে সময় বঙ্গবন্ধুর নামে বিমানবন্দর করা হয়নি। হজরত শাহজালাল রহ: এ দেশের সুফি সাধকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। সুদূর ইয়েমেন থেকে তিনি বাংলাদেশে এসে কিছু অতিলৌকিক কারামত প্রদর্শন করেন। ধর্মপ্রচারক ছিলেন কি না সেই বিতর্ক না করেও বলা যায়, তার অতি পরিচ্ছন্ন ও অনাড়ম্বর জীবন, সাম্য নীতির অনুসরণ স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। অনেক ভিন্নধর্মী মানুষ যারা বর্ণবাদের কারণে অচ্ছ্যুত হিসেবে নিগৃহিত হচ্ছিল তার সান্নিধ্যে গিয়ে এবং তার অধ্যাত্ম্যবাদের প্রভাবে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন এবং মানবিক মর্যাদা পান। হজরত শাহজালাল রহ: সম্পর্কে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থানীয় রাজাকে পরাজিত করে প্রজাদের ওপর ধর্মীয় ও সামাজিক উৎপীড়ন বন্ধের উপমা কিংবদন্তি হয়ে আছে। সরকার এই সাধকের নাম জিয়ার স্থলে স্থাপন করে সব সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার তাৎক্ষণিক অবসান ঘটিয়েছে। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ধর্মীয় আবেগ দিয়ে মোকাবেলার এ নজিরটি ধর্মনিরপেক্ষ ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক বলেই কেউ কেউ অভিমত দিয়েছিলেন; কিন্তু হজরত শাহজালাল ইয়েমেনি রহ:-এর ব্যাপারে জনমনে ইতিবাচক ধারণা, শ্রদ্ধা উত্তুঙ্গ সম্মান ও সমীহবোধ রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান পায়। সম্ভবত অলি আল্লাহর বাংলাদেশ ও শহীদ-গাজীর বাংলাদেশে ইতিহাসের চৈতন্যবোধ লঙ্ঘন ও ঐতিহ্যের নাড়ি কেটে দেয়া এ জন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। জিয়ার কবরটি চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরানোর জন্য সরকার একাধিক প্রকল্প হাতে নেয়। প্রথমে হঠাৎ এক রাতে কবরপথের বেইলি ব্রিজ সরিয়ে ফেলা হয়। তারপর বিশেষ বিশেষ দিবসে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের মূল নকশায় কবরের ঠাঁই না থাকার বিষয়টি সামনে আনা হয়। লুই কানের স্থাপত্য নকশার মূল দলিলটি খুঁজে পেতে একটি বিশেষ কমিটি বিদেশে সফরেও যায়। জিয়ার কবর সরানোর প্রকল্প থেকে সরকার সরে না আসার কথা জাতিকে বারবার স্মরণ করে দেয়া হচ্ছে। আরো কিছু স্থাপনা থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা হয়। বরাদ্দ দেয়া সঠিক কি সঠিক নয় সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। জিয়ার জন্য সেনানিবাসের ভেতর বরাদ্দ দেয়া মঈনুল সড়কের বাড়ি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে হটানো হয়েছে, চোখের পানি ঝরিয়ে বেগম জিয়ার বেদনাবিধুর ‘গৃহত্যাগ’ যে সুখকর ছিল না সেটা সবার জানা। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য আড়িয়াল বিলের উদ্যোগটি স্থানীয় জনগণের আপত্তির মুখে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হয়। এক সময় পদ্মার ওপারে কিংবা বৃহত্তর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার কথা শোনা যায়। আমাদের লাগাতার স্বাধিকার ও মুক্তির আন্দোলনে জিয়ার উপস্থিতি আছে কি নেই, সেটা গবেষণার বিষয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে জিয়া হঠাৎ জ্বলে ওঠা এক নাম। কার পক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন সেটা প্রমাণিত; কিন্তু আক্ষরিক অর্থে জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক। লাগাতার শোষণমুক্তি কিংবা স্বাধিকার আন্দোলনে জিয়া মিছিল-মিটিংয়ে থাকার কথা নয়। সময় যখন এলো তখন জিয়াই সময়ের বরপুত্র হয়ে ইতিহাসে নাম লেখালেন। এটা অস্বীকার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ইতিহাস এই সুযোগ কাউকে দেবে না। তাই বলে কখনো বঙ্গবন্ধু সমান্তরাল জিয়া কেন, কাউকে বসাতে রাজি নই। জিয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান ইতিহাসই ঠিক করে দিয়েছে। সেখানেই জিয়া থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর স্থান ইতিহাস যেখানে রেখেছে সেখান থেকে টলাতে পারে- এমন কোনো শক্তির অস্তিত্ব এই দেশে, এই মানচিত্রে কল্পনাও করা ঠিক নয়। দেশ ধারণা পাল্টালে আলাদা কথা। প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগ এ ধরনের আনকোরা একটি উদ্ভট মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে নামল কেন, এটা জিয়াবিদ্বেষ, না জিয়ার রাজনীতির প্রতি এক ধরনের অ্যালার্জি। বিদ্বেষ কিংবা অ্যালার্জি যেটাই হোক, এটা নতুন প্রজন্মের ভেতর জিয়ার ব্যাপারে উৎসাহ বাড়াচ্ছে। এক ধরনের অনুসন্ধিৎসা থেকে জিয়া পাঠ বেড়ে যাচ্ছে। নিষিদ্ধের প্রতি বাড়তি আসক্তির ফায়দা তুলবে জিয়ার রাজনীতির অনুসারীরা। ইতিহাস পাঠের এ দিকটায় আওয়ামী লীগের চিন্তকেরা মনোযোগী হলেন না কেন তা এখনো বোধগম্য নয়। ইতিহাস পাল্টে দেয়া কঠিন, নাম মুছে ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে এটা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তক থেকে নাম মুছে দিলেও ইতিহাস ইতিহাসের প্রয়োজনে সেটা আবার টেনে তোলে। ইতিহাসের সাক্ষী স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও রেখে দিয়েছেন। ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট জুড়ে বেশ কিছু ইতিহাস চর্চার বিষয় রয়েছে। পবিত্র কুরআন মানবজাতিকে নতুন করে ইতিহাসই শুধু শেখায়নি; ইতিহাস বর্ণনা করে বর্তমানকে বোঝাতে চেয়েছে। ভবিষ্যতের পরিণতি সম্পর্কেও অনেক আভাস দিয়েছে। হজরত মুসা নবীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যে ফেরাউন স্পর্ধা প্রদর্শন করেছিল, তার লাশ ‘নজির’ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জাতির ওপর আপতিত খোদায়ি আজাবগুলোর নজিরও মুছে ফেলা হয়নি। নিষ্ঠার সাথে মার্কসবাদ লেনিন যেমন অনুসরণ করতে পারেননি। মাও সে তুংও পারেননি। ক্রেন দিয়ে লেনিনের মূর্তিটি সরানো হলো সোভিয়েত পতনের পর, তাতে কি তিনি মুছে গেছেন। চার কুচক্রী নিয়ে অনেক কথা; কিন্তু মাও কি ইতিহাসে নেই। হালাকু, চেঙ্গিস, হিটলার কেউ ইতিহাস থেকে মুছে যায়নি। যাবে না। মহানায়কেরা যেমন ইতিহাসে থাকেন, তেমনি খলনায়কেরাও থাকে। ইতিহাস নিয়ে তাই আবেগ চলে না। ইতিহাসের জিয়া বা লাগাতার স্বাধিকার ও মুক্তি আন্দোলনে জিয়ার অবদান নিয়ে বিতর্ক চলে। তার রাজনীতি নিয়ে শুধু বিতর্ক নয়, আলোচনা-সমালোচনাও হতে পারে; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা বিতর্কিত করে তুলে ধরলে আমরা ছোট হয়ে যাবো। তাই শাসকদের ইচ্ছামতো ইতিহাস লিখেও সত্য এড়ানো যায় না। মিথ্যা টেকানো যায় না। মানুষ যত বড় মহামানব হোক, তার একটা নন্দিত দিক যেমন থাকে, তেমনি নিন্দিত না হোক বিতর্কিত কিছু বিষয়ও থাকে। নবী-রাসূল ছাড়া আর কাউকে শতভাগ পারফেক্ট করে উপস্থাপন করার সুযোগ নেই। আমাদের জানা মতে, নবী-রাসূলদের যেসব পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, সেসব আসমানি কিতাবে গোপন করা হয়নি। শিক্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে উপভোগ বা শুধু চর্চার জন্য নয়- শিক্ষার জন্য। শিক্ষণীয় দিকটি অনুসরণ করে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য। আমাদের কোনো জাতীয় নেতাই সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে নেই। তাদের তিন কালের রাজনীতির ভেতর ফারাকগুলো স্পষ্ট। একাডেমিক আলোচনার বাইরে তাদের সীমাবদ্ধতাগুলো আমরা চর্চার বিষয় বানাতে চাই না। শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর রাজনীতি আমাদের কাছে খোলামেলা। তাদের বৈপরীত্যগুলো জাতির জন্য কোনো প্রয়োজনীয় উপমা নয়। তাদের সুকৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও কোরবানির দৃষ্টান্তগুলোর সাথে স্বচ্ছতার যে সংশ্রব সেই রাজনীতির পথে চলাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জোর করে কাউকে বড় করার জন্য অন্যকে ছোট করা, কাউকে ইতিহাসে তোলার জন্য বড় কোনো নেতার সমান্তরালে তুলে আনা অর্থহীন। কারণ, ইতিহাস নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে যার যা প্রাপ্য তাই পাইয়ে দেয়। যে স্থানে রাখা সঠিক মনে করে সেখানেই রাখে, সেটা রাজনৈতিক জেদ কিংবা দলীয় প্রতিহিংসার কারণে উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। শুরুতে যেমনটি বলেছিলাম, জিয়া পুনর্বাসন প্রকল্প মনে হয় এই সরকারের ভাবমর্যাদার সাথে গেলেও জাতির মন-মননের সাথে যাচ্ছে না। এর মাধ্যমে জিয়ার প্রতি শুধু আগ্রহ বাড়াচ্ছে না, তার প্রতি সহমর্মিতা বাড়াচ্ছে। ইতিহাসের অণ্বেষণাকে অনিবার্য করে দিচ্ছে। সেখানে রাজনীতির জঞ্জাল সরালে জিয়া আসবেনই। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বঙ্গবন্ধু ও জিয়া সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য সাধারণ মানুষকে বেশ টানে। তাই আওয়ামী লীগ জিয়া পুনর্বাসন প্রকল্পটি বাতিল করলেই লাভবান হবে। জিয়া বিতর্ক একটি পক্ষকে বঙ্গবন্ধু বিতর্কে উৎসাহিত করবে। সেটা হবে অকল্যাণকর। জিয়া পাকিস্তানি চর মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী- এ ধরনের অশোভন ও অসত্য বক্তব্য আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন বলেই রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য বিএনপি নেতারা দিয়ে থাকেন। বাস্তবে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করা হলে জিয়া বড় হওয়ার সুযোগ নেই। জিয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলে বঙ্গবন্ধুকেই অসম্মান করা হবে। [email protected] উৎসঃ dailynayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান দখলে যেতে চেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান দখলে যেতে চেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান 11 Oct, 2016 ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ভি. পি. মালিক দাবি করেছেন, কারগিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালাতে চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক চাপ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অনুরোধে ভারতীয় সেনাবাহিনী সে যাত্রায় ‘পাকিস্তানকে ছাড় দিয়েছিল’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর প্রমাণ চাওয়ায় বিরোধী দলেরও তীব্র সমালোচনা করেন। সোমবার (১০ অক্টোবর) ভাদোদারায় সুইচ গ্লোবাল এক্সপো-তে নেতৃত্ব ও প্রেরণা বিষয়ক এক ভাষণে ভি. পি. মালিক এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, পাঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা এবং পরবর্তীতে হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানিকে কথিত এনকাউন্টারে হত্যার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর আবারও জয়েশ ই মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে দায়ী করতে শুরু করে ভারত। পারস্পরিক দোষারোপ এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতার এক পর্যায়ে ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মালিক দাবি করেন, ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে হয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ঢুকে পাকিস্তানি বাহিনীকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে চেয়েছিল। কিন্তু বাজপেয়ি তাদের থামিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “১৯৯৯ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি সেনাবাহিনীকে সীমান্ত পার না হওয়ার জন্য বলেন। তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্র এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সেনাবাহিনীকে ‘আজ সীমান্ত পার না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, তবে আগামীকাল কী হবে তা আমরা জানি না’।” মালিক আরও জানান, বাজপেয়ির ওই সিদ্ধান্তে তিনি এবং তার সেনাবাহিনী খুশী ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাদের রাজি করাতে বাজপেয়িকে একদিনে তিন তিনটি দীর্ঘ বৈঠক করতে হয়েছিল। আমি এবং সেনা সদস্যরা এতে অখুশী ছিল। ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একটা বড় কারণ ছিল, আন্তর্জাতিক চাপ। আরেকটা কারণ ছিল আসন্ন নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, এটাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।’ মালিক যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আমাদের অনুরোধ করার কিছু নেই। আমাদের অবশ্যই তাদেরকে (পাকিস্তান) সতর্ক করতে হবে, যদি তারা এমনটাই করতে থাকে, তাহলে আমাদের যুদ্ধে যেতে হবে।’ পরে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে নিয়ে আমি আশাবাদী নই যে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর তারা বদলে যাবে। আমাদেরকে অবশ্যই সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের কাছে ওই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর প্রমাণ চাওয়ায় জেনারেল (অব.) মালিক কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির নেতার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলতে চাই, যখন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি সামনে আসে, তখন সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তবে যেসব রাজনীতিকদের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই, তাদের এ নিয়ে কথা বলা উচিত না।’ সম্প্রতি আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর প্রমাণ চেয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একশোটি বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করি আমি। পাকিস্তানের দাবি মিথ্যে প্রমাণের জন্য ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও দলটির মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেছেন, ‘সরকারকে অবশ্যই ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করা উচিত। যদিও কংগ্রেস সন্দেহাতীতভাবে ওই অভিযানের তথ্যকে বিশ্বাস করে।’ একইভাবে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও ওই অভিযানের তথ্য-প্রমাণ জনসমক্ষে হাজির করে পাকিস্তানের প্রপাগান্ডার জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:'রাহুল গান্ধী হিন্দু নন' Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক 'রাহুল গান্ধী হিন্দু নন' 11 Oct, 2016 ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এর সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন ভারতের বিজেপি নেতা সংসদ সদস্য সাক্ষী মহারাজ। বিজেপি'র এই নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'কংগ্রেসের সহ সভাপতি আসলে হিন্দু নন।' খবর কলকাতা ২৪ ৭ নিউজের। খবরে বলা হয়, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই রাহুলের সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন। রাহুল বলেন “জওয়ানদের রক্ত নিয়ে দালালি করছেন প্রধানমন্ত্রী”। সেই মন্তব্য নিয়ে রাহুলকে ফের দুষতে গিয়েই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন সাক্ষী মহারাজ। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এর আগেও সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এবার ফের তিনি রাহুল সম্পর্কে এই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষী মহারাজ প্রথমে রাহুলের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মতে রাহুল গান্ধী রাজনীতির কিছুই জানেন না। এরপরেই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন তিনি। সাক্ষীর বক্তব্য অনুযায়ী রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশে সময় নষ্ট করছেন। তার রাজনৈতিক বিষয়ে জ্ঞান বাড়ানো উচিৎ। তার মতে ‘রাহুল হিন্দু নন, তাই তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভালোবাসেন না’। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 03 August 2016, Wednesday এটি মৌলিক লেখা নয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিবিসি ও সিএনএন থেকে পাওয়া তথ্যগুলোর উপস্থাপনা মাত্র। জুলুম-অত্যাচার ও বঞ্চনা মানুষকে কিভাবে বিশ্বাস পাল্টে ফেলতে বাধ্য করে তার উপমা খুঁজতে এই লেখার দায়বোধ জেগেছে। একই কারণে মানুষ শান্তিকামী থেকে চরমপন্থী হওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে কেন, সেটাও খতিয়ে দেখতে চেয়েছি। মানতেই হবে ভারতীয় সমাজের একপিঠ যথেষ্ট ফকফকা। আরেক পিঠে দগদগে ক্ষত। এ ক্ষতের কারণ বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ধরে রাখার প্রবল ইচ্ছা। মাওবাদী ও চারু মজুমদারেরা যে ভাষায় প্রতিবাদ করেছে- সেভেন সিস্টার সে পথে যায়নি। আবার কাশ্মির ও শিখ ল্যান্ডের দাবিদারদের পথ আলাদা। সবার শেষ কথা বঞ্চনা থেকে নিষ্কৃতি। শত সহস্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেহারা আরেক ধরনের। যেমন, ভারতে দলিত জনগোষ্ঠীর ওপর হিন্দুত্ববাদী ও বর্ণবাদীদের অত্যাচার থামছে না। তাই দলিত হিন্দু পরিবারের ‘একযোগে’ ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। সম্প্রতি মন্দিরে প্রবেশে বাধা পেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলো তামিলনাড়ুর আড়াই শ’ দলিত পরিবার। স্মরণে পড়ে, ১৯৮১ সালে কেরালায় একসাথে কয়েক হাজার দলিত এক অনুষ্ঠানেই ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এটা ভারতীয় সমাজের সাধারণ প্রবণতা। প্রতিদিন কেউ না কেউ খ্রিষ্টান কিংবা মুসলমান হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দলিতদের ওপর কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আক্রমণ বেড়েই চলছে। গুজরাটের উনা ও তামিলনাড়ুতে এমন ঘটনার খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। এর পরিণতিও হচ্ছে ভয়াবহ ও মারাত্মক। বর্ণপ্রথার এই খেসারত ভারতকে কতটা দিতে হবে জানি না। গেলো বছর হরিয়ানায় প্রায় ১০০টি দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। এমন নজির থাকা সত্ত্বেও দলিতদের ওপর নির্যাতন কমেনি। গুজরাটের উনা নামক স্থানের ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যত শোরগোলই ফেলুক, বাস্তবের ছবিটা কিন্তু তেমন বদলায়নি। আর তাই স্বধর্মের উগ্র ও জঙ্গিবাদীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই অন্য ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন নিপীড়িত অধিকারবঞ্চিত দলিতরা। এবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর বেদারণ্যম ও কারুর জেলায়। দলিতদের অভিযোগ, বরাবরই তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হয়। একই চিত্র কারুর জেলাতেও। স্থানীয় মহাশক্তি মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি ৩৫টি দলিত পরিবারকে। কারণ তারা ‘অচ্ছুত’। দলিতরা ভাবলেন, যে ধর্মে মানুষকে মর্যাদা দেয় না, মানুষের ভেতর শ্রেণী-বিভাজন করাকে ঈশ্বরের মর্জি বলে প্রচার করা হয়, অচ্ছুত অভিহিত করে উপাসনালয়ে ঢুকতে দেয় না- সেখানে পাথরের মূর্তি থাকতে পারে; ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা আছে, সেটা ভাবা অর্থহীন। তাই নেতিবাচক ভাবনা তাদের ধর্মান্তরে উৎসাহিত করেছে। সাম্য-মৈত্রীর আহ্বান পেয়েই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দলিতরা। এটি স্বতঃস্ফূর্ততার বিষয়। অত্যাচার ও শ্রেণিবৈষম্যের বিপরীতে অবস্থান নেয়া বা আশ্রয় পাওয়ার তাগিদ এখানে গৌণ নয়। কোনো মুসলিম তাদের প্রলুব্ধ করেনি। বর্ণবাদের শিকার শুধু দলিতরা নয়, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ও এই জুলুমের শিকার। এই জুলুমের বাইরে নেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা। হরিজন, দলিত, অচ্ছ্যুত, যবন-ম্লেচ্ছ, রক্তমাংসের মানুষকে এভাবে ভাগ-বিভাজন করে কিভাবে ধর্মাচার হতে পারে? রাষ্ট্রাচারও কিভাবে সম্ভব! এ প্রশ্ন সব মুক্তচিন্তার বিবেকের। আরো ভয়ানক ঘটনা হচ্ছে, ভারতের কর্নাটক রাজ্যের একটি ‘দলিত’ বা নিম্নবর্ণের হিন্দু পরিবার গরুর গোশত খেয়েছে- শুধু এই সন্দেহে তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বজরঙ্গ দল নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এ দলটি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ভারত পৃথিবীজুড়ে গরুর গোশত রফতানিকারক দেশগুলোর শীর্ষে, যে রফতানি আয় ভারতের অর্থনীতিকে স্ফীত করে চলেছে। কর্নাটক রাজ্যের চিকমাগালুরে এ ঘটনা ঘটে। সপ্তাহখানেক আগের ঘটনাটি জানা গেছে ক’দিন বিলম্বে। বজরঙ্গ দল নামের জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য এ আক্রমণ চালায়। এতে পরিবারটির তিনজন সদস্য গুরুতর আহত হন বলে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে। কোনো মুসলিম বা ইসলামি দল নয়, কর্নাটক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফোরাম নামে একটি সংগঠন এ নিয়ে পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। এ ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে ভারতে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছেন। কারণ রাষ্ট্রশক্তি পরিচালিত হয় বর্ণবাদীদের দ্বারা- যারা আক্রমণকারীদেরই পৃষ্ঠপোষক। গত মাসে ভারতের গুজরাট রাজ্যের উনা শহরে স্বঘোষিত ‘গো-রক্ষক’ গোষ্ঠীর লোকেরা দলিত সম্প্রদায়ের চারজন ট্যানারি শ্রমিককে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। গত বছর উত্তর প্রদেশে একটি মুসলিম পরিবারে গরুর গোশত খাওয়া এবং রাখা হয়েছে, এ গুজব ছড়ানোর পর এক ব্যক্তিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ক্রুদ্ধ একদল হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি মোহাম্মদ আখলাক নামের এক মুসলিমকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে হত্যা করে। গরুর গোশত খাওয়ার সন্দেহে দলিত লোকজনের বাড়িতে হামলা চালানোর আরো অনেক নজির আছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রও এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমাদের জানা নেই, পৃথিবীর আর কোথাও মানুষের প্রাণের ও মর্যাদার চেয়ে গরুর মর্যাদা এভাবে বেশি বলে নিরূপণ করা হয় কি না। যে ধর্মেরই হোক, হোক না নাস্তিকÑ মানুষ সৃষ্টির সেরা, পৃথিবীর অপরাপর সব পণ্যদ্রব্য, বস্তু ও প্রাণিসম্পদ মানুষের জন্যই। তারপরও এই বাড়াবাড়ি ও অনৈতিক উগ্রতা কিভাবে রাষ্ট্রের আনুকূল্য পেতে পারে? সম্প্রতি বর্ণবাদীদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক হাজার হিন্দু দলিত পরিবার ইসলাম গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে বামহেটা গ্রামে দলিত সম্প্রদায়ের অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে গণপাশবিক নির্যাতন এবং পরে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক বাবলু ও রাঞ্চো যাদবের পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত ওই দলিত পরিবারের ওপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পরে এই বিষয়টি নিয়ে আরো উত্তেজনা ছড়ায়। সেদিন ছিল ওই ছাত্রীর ‘চৌথা’ অনুষ্ঠান। এটা সম্ভবত কোনো লোকজ কিংবা ধর্মীয় আচার। গ্রামের সাবেক প্রধান লীলা ধর ও অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন সেখানে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের বাসিন্দা প্রদীপের অভিযোগ, গত ২৯ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বাবলু ও রাঞ্চো ওই ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করেছে। এটা করার সাহস হয়েছে এ জন্য যে, ওই মেয়েটি ছিল দলিত। আর রাষ্ট্রশক্তি ছিল নির্যাতনকারীদের পক্ষেই। ওরা ভেবেছিল, এই অপকর্ম করে সহজেই পার পেয়ে যাবে। ৬ এপ্রিল যখন ওই নির্যাতিতা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করে, তখন ঘটনাটি ভিন্ন রূপ নেয়। দলিত গোষ্ঠীর নেতা প্রদীপ বলেছেন, এই গ্রামে দলিতরা সংখ্যালঘু হলেও তারা সংগঠিত। গ্রামে কমপক্ষে এক হাজার দলিত পরিবার রয়েছে। গ্রামের অন্য সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ তাদের শোষণ করছে। এই পাশবিক নির্যাতন তো একটি সূত্র মাত্র। এমনকি পুলিশও ঘুষ নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের পক্ষ নিচ্ছে। এ ঘটনার পরে তারা সম্ভবত ইসলাম গ্রহণ করতে চলেছে। তাদের বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তাহলে আর যাই হোক ন্যায্য শুনানিটা পাবো। ২০১৩ সালে এক দলিত নারীকে পাঁচ যুবক ধর্ষণ করেছিল। সে সময় তারা ভিওয়ানি শহরে বাস করত। ধর্ষিতাকে হুমকি দেয়া হলে পুরো পরিবার রোহতায় চলে আসে। কিন্তু এতেও রক্ষা পাননি ওই দলিত নারী। অপরাধীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের তাকে ধর্ষণ করেছে। টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ধর্ষিতা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় ওই লোকগুলোকে আমি দেখতে পাই। তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে জোর করে একটি গাড়িতে ঢুকায় এবং আমার বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপর আমার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। আমাকে প্রায় মৃত্যুমুখে ফেলে চলে যায়। কিন্তু এক পথচারী আমাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসে। চার বছর আগে দিল্লিতে ২৩ বছর বয়সী এক মেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর দেশটিতে ধর্ষণের আইন কঠোর করা হয়েছে। এমনকি কেউ ধর্ষণের দায়ে দুইবার অভিযুক্ত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আইন কার্যকর রয়েছে। কিন্তু পাঁচ ধর্ষক ছাড়া পেয়ে যায়। বিবিসি বলছে, এ আইন থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্র ধর্ষিতাকে সাহায্য করেনি। বিশ্ব মিডিয়ার তথ্য হচ্ছে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে একজন দলিত নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ তথ্যটি উঠে এসেছে দলিত সম্প্রদায়ের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল ও ভারতের দলিত প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেন। তারা তুলে ধরেন নিজ নিজ দেশে এই সম্প্রদায়ের অবস্থান। বাংলাদেশের রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং দলিত নারী ইস্যু বিষয়ে আঞ্চলিক অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ’ শীর্ষক সম্মেলনে আরো অনেক স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে। সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি রুথ মনোরমা বলেন, ‘সাধারণ নারীদের ক্ষেত্রে নির্যাতন হলে মানুষ যেভাবে সোচ্চার হয়, দলিতদের ক্ষেত্রে সেভাবে হয় না। প্রতিদিনই ভারতে কোথাও না কোথাও একজন দলিত নারী ধর্ষণের শিকার, অথচ এর কোনো প্রতিকার নেই।’ নেপালের প্রতিনিধি ইয়াম বাহাদুর কিষাণ দাবি করেন, তাদের দেশের চিত্র ভিন্ন। ‘তাদের দেশে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে দলিতদের। শুধু তাই নয়, পার্লামেন্টে এক তৃতীয়াংশ দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি আছেন। আর এ বিষয়টি ছিল মাওবাদীদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি।’ শুধু লিঙ্গবৈষম্য নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কিভাবে অবহেলিত হচ্ছেন এই দলিতরা সেটা অনেকের জানা নেই। এ ছাড়া পড়াশোনা, চাকরি ও মানবাধিকারসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দলিতদের অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষিত। কেরালা ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যগুলোর অন্যতম, আর সেখানে নির্বাচনও সামনে। দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত সমাজেও এমন বীভৎস খুন ও ধর্ষণের ঘটনা গোটা রাজ্যকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। এ ঘটনা আলাদা রাজনৈতিক মাত্রাও পেয়ে গেছে। ভারতের সংবিধান প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকার নিজেই ছিলেন দলিত শ্রেণীর। এরপরও ভারতীয় সমাজে দলিতদের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি কিছুই করে যেতে পারেননি। গান্ধীজীর সাথে ১৯৩১ সালে ভারতীয় সংবিধানের মূল রূপকার ও গণপরিষদের সভাপতি ড. আম্বেদকারের প্রথম দেখা। গান্ধীজী বললেন, আপনি কংগ্রেসের প্রতি কেন এত রুষ্ট? আম্বেদকার বললেন, আমি অস্পৃশ্য। আমার তো কোনো মাতৃভূমি নেই। বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে আম্বেদকার ধর্মান্তরের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল সাম্যবাদের ধর্ম ইসলামে দীক্ষিত হবেন। গান্ধীজী খবরটি জানতে পেরে তাকে অনুরোধ করে বলেনÑ বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান হলে প্রতিক্রিয়া কম হবে। এ ঘটনাটি ইতিহাস আশ্রয়ী। অথচ গান্ধীজী দলিতদের ‘হরিজন’ অর্থাৎ ঈশ্বরের মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ভেতরের অসঙ্গতি ভারতের দলিতদের ভাগ্য বদলায়নি। ভারতের বর্ণবাদ এখন আরো বেশি মাত্রায় হাত-পা ছড়িয়ে বসেছে। জাত-পাত, চ্যুত-অচ্যুত ভাবনা ও সাম্প্রদায়িকতা লুকোনোর পর্যায়ে নেই। বর্ণপ্রথার এ বিভাজন মানুষকে প্রকৃত মানুষের মর্যাদায় উঠতে দিচ্ছে না। লেখক কৃষণ চন্দরের ‘তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশে’ মানুষকে নিয়ে এই অবজ্ঞা- গণতন্ত্রের ও ধর্মনিরপেক্ষতার চাদরে ঢেকে রাখা কিভাবে সম্ভব? তাই বিশ্বাস পরিবর্তনের এই হিড়িক। মানুষ বিশ্বাস ও নিজস্ব স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে পড়তে দেখলে বিশ্বাস পাল্টায়। স্বাধীনতা খর্ব হলে প্রতিবাদী হয়। কিন্তু বঞ্চনা, শোষণ-নির্যাতন, নিপীড়ন হতে দেখলে শুধু প্রতিবাদী হয় না, প্রতিশোধকামীও হয়ে ওঠে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এক সময় যারা বলতেন, ‘কওমি মাদরাসা জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র’, তারা এত দিনে জবাব পেয়ে গেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নেই। দলিত ও অচ্ছুত ভাবনা গৌণ। তাই সন্ত্রাসী-জঙ্গি যে পরিবার ও যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসুক, তারা এ মাটির সন্তান। তারা কী চায়, কিভাবে চায় সেটার ধরন চিহ্নিত করা জরুরি। পৃথিবীজুড়ে স্বাধীনতাকামী প্রত্যেক মানুষ কখনো না কখনো অস্ত্র হাতে লড়াই করেছে, এখনো করছে। কোথাও এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী, কোথাও চরমপন্থী। তা ছাড়া ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে মানুষ ধর্মের প্রাণস্পর্শী মানবতাবাদ ভুলে যায়। ধর্মান্ধতার ভেতর আশ্রয় খোঁজে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীও দীর্ঘ দিন তাদের মানবিক মর্যাদা হারিয়ে পদদলিত হয়ে থাকতে চায় না। কোনো মানুষ দাসত্ব বেশি দিন হজম করে না। দেশে দেশে এর উপমা অসংখ্য। ভারতের দলিতরা অনেক দিন প্রহর গুনবেন- সেটা ভাবা কি যৌক্তিক? [email protected] উৎসঃ dailynayadiganta পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
| Bangla Choti | বাংলা চটি | Incest Choti Story | | Bangla Choti | বাংলা চটি | Incest Choti Story | Bangla Choti Story | বাংলা চটি সমারহ | Search Select Menu Home Features Blog Portfolio About Me Contact Us Category Sub Menu Sub Sub Menu Sub Menu Sub Menu Sub Menu Sub Menu Sub Menu Sub Menu Reviews Help Latest Post ছোট বোনকে চোদার কাহিনী… Be the first to comment! এই নিয়ে নিশি আর ওর বান্ধবীদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। ‘By the way’ একটু শান্ত হয়ে জিনিয়া বলল। ‘তোর সুমিতের খবর কি?’ ‘সুমিত? কোন সুমিত?’ নিশি একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলে। ‘ওই যে সেকশন বি এর…’ ‘ওহ ওটাকে কে তো আমি সেদিনই dump করলাম। জানিস শয়তানটা আমাদের first date এর দিনই KFC তে আমার ঘাড়ে হাত রাখার ছলে আমার nipples এ হাত দিয়েছিল’। ‘এটা আর এমন কি ছেলে মানুষ দিতেই পারে তাই বলে একেবারে dump করে ফেলতে হবে নাকি’ নীলা বলে উঠল। ‘ইশ! শখ কত! আমি তো আর তোদের মত সারাক্ষন সেক্স এর জন্য পাগল হয়ে থাকি না। এসব ফালতু ছেলেকে আমি থোরাইcare করি আমার first time হবে very special কারো সাথে’। ‘হুম….না জানি কত সাল পরে তোর সেই জন আসবে। ক্লাসের সব ছেলে তোর জন্য পাগল তাও তুই যে কি করিস বুঝি না’, বলল নীলা ‘তারপর রাফির খবর কি? এখনো কোন মেয়ে ওর মন গলাতে পারল না?’ ‘কি জানি, ও এতই লাজুক যে ইদানিং আমার সামনে আসতেও কেমন যেন করে, মেয়েদের সাথে কথা বলবে কি!’ ‘ইশ! তোকে না বলে পারছি নারে নিশি তোর ভাইটা এত সেক্সী, সেদিন তোর বাসায় খালি গায়ে ওকে দেখে তো আমারpussy ভিজে যাওয়ার অবস্থা’ ‘ধ্যাত, তোর মুখে কি কোন কথা আটকায় নারে নীলা? কি বলছিস এসব?’ নিশি বিরক্ত হয়ে বলল ‘মাইরি বলছি নিশি, আমি যদি রাফির বোন হতাম ও আর আমি মিলে কত কিছু যে করতাম আর তুই…’ নীলা কৃত্রিম দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ‘হয়েছে হয়েছে, তোর সিটে যা, ওই বেল বাজল বলে, শামীমা মিস যেই কড়া তোকে সিট এর বাইরে দেখলে না জানি কিdetention দেয়’ নীলা তড়িঘড়ি করে ওর সিটে ফিরে গেল। রাফি নিশির বড় ভাই। নিশির থেকে দুইবছরের বড় হলেও ও নিশির থেকেও লাজুক। এমনকি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েও আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের সাথে ওর স্বাভাবিক বন্ধুত্বও হয়নি। নিশির ভাই প্রায় সব কিছুইতেই নিশির চেয়ে এগিয়ে। বুয়েটে ওর ইয়ারের সবচেয়ে ব্রাইট স্টুডেন্ট হওয়া ছাড়াও, নিয়মিত জিম করে, টেনিস খেলে এমনকি তার নিজের একটা ব্যান্ড ও আছে। শুধু মেয়েদের সামনে গেলেই ও কেমন যেন হয়ে যায়। বড় হওয়ার পর থেকে নিশি কখনোই ওর ভাইয়ের দিকে অন্যরকম দৃষ্টি নিয়ে তাকায়নি কিন্ত আজ ঘরে ফিরে নিজের রুমে যাওয়ার সময় যখন ওর ভাইয়ের সাথে দেখা হল ও আজ ভাল করে ওর ভাইয়ের দিকে তাকাল। প্রায় ৬ ফুট লম্বা রাফির টাইট গেঞ্জি ছিড়ে যেন ওর পেশী বহুল দেহ বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। দেখলেই কেমন যেন ছুটে গিয়ে ওর প্রশস্ত বুকে মাথা চেপে ধরতে মন চায়। ‘কিরে নিশি এমন করে কি দেখছিস?’ ওর ভাই বলে উঠল। নিশি সম্বিত ফিরে পেয়ে বলল, ‘উম, না কিছু না, কোথাও যাচ্ছ নাকি ভাইয়া?’ ‘এইতো একটু লাইব্রেরী যাচ্ছি, তোর জন্য কোন বই আনতে হবে?’ ‘জাফর ইকবালের নতুন কিছু থাকলে এনো’ ‘ঠিক আছে’ বলে ওর ভাই বেরিয়ে যায়নিশি কিছুক্ষন ওদিকে তাকিয়ে থেকে মাথা ঝেড়ে ফেলে তার রুমে চলে আসল। গোসল করতে বাথরমে ঢুকে নিশি ধীরে ধীরে তার স্কুলের স্কার্টটা খুলে ফেলল। তারপর ওর ব্রা আর গোলাপী সিল্কের পাতলা পেন্টিটাও খুলে বিশাল আয়নায় নিজের নগ্ন দেহের দিকে তাকাল। নিয়মিত ডায়েটিং করে ও সবসময়ই নিজের দেহের স্লিম ফিগার মেনটেইন করে আসছে। ওর মাই দুটো খুব বড় নয়, কিন্ত ওর স্লিম দেহের সাথে মানাসই। স্কুলের গার্লস বাথরুমে যখন ওরা বান্ধবীরা যার যার ব্রা খুলে কার মাই বেশি সুন্দর তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করে তখন এমনকি মেয়েরাও ওর বাতাবী লেবুর মত মাই একবার টিপে দেখার লোভ সামলাতে পারে না। একটু বেশি ফর্সা বলে ওর মাইয়ের বোটার চারপাশটা গাঢ় গোলাপি। ওর সুগভীর নাভীর নিচে ওর হালকা গোলাপী বালহীন ভোদা। ওখানে সামান্য একটু বাল হলেই নিশি হেয়ার রিমুভার দিয়ে ফেলে দেয়। নিশির মনে করে ওগুলো ওর সুগোপন বাগিচার সৌন্দর্য নস্ট করে। এ অবস্থাতেই হঠাৎ কক্সবাজারে দেখা ওর ভাইয়ের শুধু আন্ডারওয়্যার পড়া দেহের কথা মনে পড়তেই ওর মাই দুটোতে কেমন যেন শিহরন বয়ে গেল। ও হাত দিয়ে ওর মাই দুটোকে টিপতে লাগল। ওর মনে হল ওর ভোদা ভিজে যেতে শুরু করেছে। নিশি তাই বাথটাবে শুয়ে এক হাতে একটা মাই টিপতে টিপতে অন্য হাত দিয়ে ভোদায় আঙ্গুলী করতে লাগল। কিন্ত আজ যেন শুধু আঙ্গুলি করায় ওর হচ্ছিল না। কিসের যেন একটা কামনা ওকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। আঙ্গুলী করতে করতেই ওর ভোদা দিয়ে সামান্য রস বের হয়ে আসল। নিশি কখনই যা করেনি আজকে তাই ওর ভোদা থেকে আঙ্গুল বের করে নিজের রস মুখে দিল; কেমন যেন একটা আঁশটে গন্ধের সাথে নোনা নোনা স্বাদ পেল। কোনমতে গোসল শেষ করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসল নিশি। লিভিং রুমে গিয়ে দেখল ওর মা টিভিতে একটা রান্নার অনুস্ঠান দেখছে। ‘কিরে, আজকে নাচ শিখতে যাবি না’। নিশির দিকে ফিরে ওর মাজিজ্ঞাসা করলেন। ‘না মা, আজকে শরীরটা ভাল লাগছে না।’ বলে নিশি মায়ের পাশে বসে মাকে জড়িয়ে ধরল। ‘কিরে তোর শরীরটা কেমন গরম গরম লাগছে, জ্বর আসল নাকি’ ওর মা শঙ্কিত হয়ে বললেন। ‘কিছু না মা এমনিই’ বলে দুই মা-মেয়ে বসে টিভি দেখতে লাগল। **** রাতের খাওয়া শেষে নিশি ওর বাবা-মা ও ভাই মিলে একটা সুন্দর ইংলিশ মুভি দেখল। নিশি ওর ভাইয়ের পাশেবসে ছিল। ছোটকাল থেকেই ওর ভাইয়ের সাথে ওর সহজ সম্পর্ক। কখনোই ওর ভাইকে ও আলাদা কোন নজরে দেখেনি। কিন্ত আজ যতবারই কোন কারনে রাফির সাথে ওর স্পর্শ লাগছিল ও শিউরে উঠছিল। মুভি শেষে ওরা যে যার রুমে ফিরে গেলনিশির রাত জেগে পড়ার অভ্যাস তাই ও তেবিল লাম্প জ্বালিয়ে পরেরদিনের ফিজিক্স এসাইনমেন্ট করতে লাগল। করতে করতে ও হঠাৎ একটা যায়গায় আটকে গেল। পড়াশোনার কোন ব্যাপারে কখনো আটকে গেলে নিশি সবসময় ওর ভাইয়ের কাছে যায়। ও ঘড়ির দিকে তাকাল, রাত ২টা বাজে, ভাইয়া হয়ত জেগেই থাকবে। ওদের বাবা-মার রুমের পাশেই ভাইয়ার রুম। ওর ভাইয়া জেগে আছে কিনা দেখার জন্য নিশি আলতো করে ওর রুমের দরজাটা মেলে দেখল রাফি বিছানায় নেই। নিশি চলে যাওয়ার জন্য ফিরতে গিয়ে দেখল রুমের অন্য পাশে ড্রেসিং রুমের পর্দার ফাক দিয়ে সামান্য আলো আসছে। ও পা টিপে টিপে গিয়ে পর্দা সরিয়ে দেখলো ওর ভাইয়ের মাথা ড্রেসিং রুমের পিছনের দেয়ালের সাথে লাগানো যেন কিছু দেখছে। ভালো করে তাকিয়ে নিশি দেখলো ওর ভাইয়া সম্পুর্ন নগ্ন আর এক হাত দিয়ে ও ওর ধোন খেচছে। এই দৃশ্য দেখে কিছু বুঝার আগেই নিশির মুখ দিয়ে একটা আস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসলো। তা শুনে ধোনে হাত রাখা অবস্থাতেই ওর ভাই ফিরে তাকিয়ে ওকে দেখে জমে গেল। নিজেকে ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে ওর ভাই জিজ্ঞাসা করলো, ‘কিরে….এতরাতে…তুই এখানে কি করছিস?’ ‘আমি ফিজিক্স এর একটা জি্নিসে আটকে গিয়েছি ভাবলাম তুমি হয়ত সাহায্য করতে পারবে’ লজ্জায় লাল হয়ে নিশি বলল। ওর ভাইয়ের দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল ধোন থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখতে প্রানপন চেষ্টা করছিল ও। এবার দেয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখল সেখানে একটা ছোট্ট ফুটো দিয়ে আলো আসছে। দেখে ও জিজ্ঞাসা করল, ‘ওখানে কি দেখছ ভাইয়া?’ ‘কিছু না, তুই যা তো এখান থেকে…’ কিন্ত নিশি এগিয়ে গিয়ে একটু ঝুকে ফুটোটায় চোখ রেখে বুঝল ও ওর বাবা-মার রুমের দিকে তাকিয়ে আছে। সে তার বাবা-মাকে নগ্ন অবস্থায় বিছানায় দেখতে পেল। ফুটো থেকে চোখ তুলে ও অবাক হয়ে ওর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তুমি বাবা-মার রুম লুকিয়ে দেখছ……’ ‘তোর ওখানে তাকানো উচিত হয়নি’, রাফি বলল। ‘আর তোমার বুঝি খুব তাকানো উচিত?’ নিশি রাগত স্বরে বলে আবার ঝুকে ফুটোয় চোখ রাখল। দেখল ওর বাবার পা খাটের বাইরে বেরিয়ে আছে আর ওর মা বাবার ধোনের উপর বসে উঠানামা করছে। দম বন্ধ করে নিশি দেখল হাল্কা লাইটের আলোয় ওর বাবার ধোনে মায়ের ভোদার রস পড়ে চিকচিক করছেঅনেক ছোটকাল ছাড়া নিশি আর কখনো ওর বাবা-মাকে নগ্ন দেখেনি। তাই মায়ের ভো্দায় বাবার ধোন ঢুকতে আর বের হতে দেখে ওর অবিশ্বাস্য লাগছিল। উঠে দাঁড়িয়ে নিশি ওর ভাইয়ের দিকে তাকালো, ওর ধোন যেন একটু নেতিয়ে পড়েছিল। ‘I can’t believe this!’ নিশি বলল। ‘এই ফুটো তুমি খুজে পেলে কিভাবে?’ ‘আমরা এই বাসায় উঠার দিনই……আব্বু-আম্মু মনে হয়না এটার কথা জানে…জানলে তো আর নিশ্চয়…’ রাফি বলে উঠল। ‘হ্যা বুঝলাম’ বলে নিশি আবার ফুটো দিয়ে তাকালো। ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ব্যপারটা’। বলে উঠে দাঁড়িয়ে ও আবার ওর ভাইকে দেখার ইশারা করল। বোনের সামনে ওর আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়া ধোন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে রাফির লজ্জা লাগছিল। একটু ইতস্তত করে ও কাছে আবার ফুটোয় চোখ দিল। নিশি ওর পাশেই মেঝের উপর বসে কি হচ্ছে সেটা ওর ভাইকে বলতে বলল। ‘Oh! Come on ভাইয়া বলো আমাকে’ রাফি ফিসফিস করে বলতে লাগল, ‘আম্মু এখন আব্বুর উপর থেকে উঠে ঝুকে আব্বুর সারা শরীর চুষতে চুষতে নিচে নামছে’। রাফি বিশ্বাস করতে পারছিল না যে সে তার ছোট বোনের কাছে ড্রেসিং রুমে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর মাকে বাবার ধোন চুষতে দেখে আর পাশে থাকা ওর বোনের কথা চিন্তা করে ওর নেতিয়ে পড়া ধোন আবার শক্ত হতে শুরু করল। ওর পাশে বসা নিশিও তা লক্ষ্য করে ওটা একবার ধরার লোভ সামলাতে পারল না। হাত বাড়িয়ে আলতো করে ভাইয়ের ধোন স্পর্শ করল ও। ওর ভাই তাতে লাফ দিয়ে উঠল। ‘এই কি করছিস!’ রাফি অবাক হয়ে বলল। ‘কিছু না ভাইয়া এই সব কিছুই আমার কাছে নতুন’ নিশি বলল ‘আর একটু ধরি ভাইয়া?মাইন্ড করবে?’ ‘হ্যা…না…আচ্ছা…ঠিক আছে ধর…কিন্ত কেন?’ ‘না মানে আগে কখনো এরকম দেখিনি তো আর তুমি আমার ভাই,তোমাকে আমি বিশ্বাস করি যে উলটাপালটা কিছু হবে না’ আবার ফুটোয় চোখ রেখে রাফি দেখল বাবার ধোন মায়ের মুখে প্রায় সম্পুর্ন ঢুকে গিয়েছে। হয়ত মায়ের গলায় খোচা দিচ্ছে। ওর বাবার ধোন যখন আবার বের হয়ে আসছিল তখন রাফি টের পেল যে নিশি আবার ওর ধোণে হাত বুলাচ্ছে মাঝে মাঝে ওর বিচিতেও বুলাচ্ছে। ‘কি হচ্ছে এখন’ ওর ধনে হাত রেখেই নিশি জিজ্ঞাসা করল। ‘আম্মু এখনো আব্বুর পেনিস চুষছে’ রাফি বলল যখন নিশি ওর ধোনটা ধরে মৃদু চাপ দিল। ‘এখন আম্মু আব্বুর পেনিস চুষতে চুষতেই বুকের উপর দিয়ে পা সরিয়ে তার ভ্যাজিনা আব্বুর মুখের কাছে ধরেছে আর এখন দুজনই দুজনকে চুষছে’ ‘কই দেখি’ বলে রাফির ধোনে হাত রেখেই নিশি উঠে দাঁড়িয়ে রাফিকে সরিয়ে ফুটোয় চোখ রাখল। সে দেখলো তার মা বাবার ধোন চুষছে আর বাবাও ৬৯ পজিসনে মায়ের গুদ চুষছে। এই দৃশ্য দেখে নিশি ওর ভাইয়ের ধোন আরও জোরে চেপে ধরে হাত ওঠানামা করতে লাগল। বোনের এই কার্যকলাপে রাফির মুখ দিয়ে ছোট ছোট শব্দ বেরিয়ে আসতে লাগল। নিশি উঠে আবার ওর ভাইকে দেখতে দিল। রাফি আবার ফুটোয় তাকাতেই নিশি পেছন থেকে ওর দুই হাত রাফির কোমরে জড়িয়ে দুই হাতে ওর ধোণ ধরে খেচতে লাগল। রাফির কি মনে হতে নিশি শুধু এসে ফুটোয় চোখ দিয়ে আবার ওর ধোন ধরে খেচতে লাগল। রাফির ধোনে সামান্য একটু স্বচ্ছ রস এসে গিয়েছিল। নিশি আঙ্গুল দিয়ে ঐ রস ওড় ধোনের আগায় ছড়িয়ে দিয়ে খেচতে লাগল আর রাফি আবার পেন্টির উপর দিয়ে বোনের গুদে হাত বুলাতে লাগল। এবার রাফি ওর পেন্টির নিচে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে অবাক হয়ে দেখল ওর গুদে কোন বাল নেই। নিশির মসৃন গুদ রাফি আঙ্গুল দিয়ে ঘষতে লাগল। গুদ ঘষতে ঘষতেই রাফি নিশিকে জিজ্ঞাসা করল, ‘এখন কি হচ্ছেরে?’ ‘আব্বু আম্মুকে ডগি স্টাইলে করছে’নিশির জবাব। শুনে রাফি আরো উত্তেজিত হয়ে আস্তে আস্তে নিশির পেন্টিটা পুরোপুরি খুলে ফেলল নিশিও কোন বাধা দিল না। এবার রাফি আরো জোরে জোরে নিশির গুদে আঙ্গুলি করতে লাগল। নিশির ওর জন্য পা দুটো একটু ফাক করে দিল। ও তখন বাবাকে জোরে জোরে মাকে পিছন দিয়ে চুদতে দেখছিল। ধোন ঢুকানর সময় ওর বাবার বিচি মায়ের পাছার সাথে বাড়ি খাচ্ছিল। নিশি সরে গিয়ে বলল, ‘এবার তুমি দেখ’ রাফি আবার ফুটোর দিকে ঝুকতেই নিশি বসে দুইহাত দিয়ে ওর ধোন খেচতে লাগল। বাবা-মাকে চোদাচুদি করতে দেখতে দেখতেই হঠাৎ রাফি ওর ধোনের উপর নিশির গরম শ্বাস অনুভব করল। চোখ নামিয়ে ও বিস্ফোরিত চোখে দেখল ওর বোন ওর ধোনের উপর লেগে থাকা স্বচ্ছ রসের স্বাদ নিতে তার জিহবা বের করে এগিয়ে আসছে। দম বন্ধ করে রাফি দেখল নিশি জিহবা দিয়ে ওর ধোনের আগা চাটতে চাটতে আস্তে আস্তে সেটা ওর নরম ঠোটের ভিতর ভরে নিল। তারপর আস্তে আস্তে পুরো ধোন মুখের ভিতর পুরে নিল। আবার ধোনটা মুখ থেকে বের করে ধনের ছোট্ট ফুটোয় আলতো করে জিহবা লাগাল। তারপর আবার পুরোটা মুখে নিয়ে চুষতে লাগল। সুখ পেয়ে রাফি দেওয়ালে হেলান দিয়ে বোনের ধোন চোষা দেখতে লাগল। নিশির এভাবে ধোন চোষায় রাফি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিল না। ও নিশির মাথা ধরে ওকে ধোন থেকে সরিয়ে বলল যে এখুনি ওর মাল বের হয়ে যাবে। নিশি হেসে ওকে বলল যে সে দেখতে চায় কিভাবে মাল বের হয়। রাফি এবার নিচু হয়ে নিশিকে বলল, ‘আমাকে এবার তোর জন্য কিছু করতে দে, পরে তুই আবার করিস’। বলে রাফি নিশিকে আলতো করে ধরে ওকে দেয়ালের সাথে হেলান দেওয়ায়ে আমি আমার বোনের গুদ চুষলাম, হায় হায় এ আমি কি করলাম……এই ভাবতে ভাবতে রাফি যখন বিমূঢ় হয়ে বসেছিল, নিশি উঠে বসে হাত বারিয়ে জোরে জোরে তার নিজের ভোদা ঘষতে ঘষতে বলল, ‘ওহ! অসাধারন ভাইয়া! Thank you so much!’ ‘এটা ঠিক না’ অপরাধবোধে জর্জরিত হয়ে রাফি বলল। ‘আমাদের এরকম করাটা একদম উচিত হয়নি’ ‘ঠিক আছে, কিন্ত আমরা খুব বেশি কিছু তো করিনি, তাই না?’ ‘হ্যা কিন্ত……’ রাফি শুরু করেছিল কিন্ত নিশি আবার ঝুকে এসে ওর ধোন ধরে চুষতে লাগল। ‘নিশি তোর এটা করা উচিত হচ্ছেনা’ রাফি প্রতিবাদ করল। ‘আমি এটা দিয়ে রস বের হওয়া দেখতে চাই’ ‘ফুটোটা দিয়ে তাকা, আব্বুর এখুনি স্খলন হওয়ার কথা’ নিশি ওর ধোন ছেড়ে উঠে ফুটো দিয়ে তাকাল। ও তাকানোর কিছুক্ষন পরেই ওর বাবা মায়ের গুদ থেকে ধোন বের করে আনলেন। তারপরপরই ওর বাবার ধোন দিয়ে ছলকে ছলকে মাল মায়ের উপর পড়তে লাগল। ‘ভাইয়া তাড়াতাড়ি দেখ কি অবস্থা’ বলে নিশি সরে আসল। রাফি ওর চোখ ফুটোয় রাখতে না রাখতেই নিশি আবার ওর ধোন হাতে নিয়ে মা যেভাবেবাবার ধোন চুষছিল সেভাবে চুষতে লাগল। নিশি চুষতে চুষতে একসময় রাফি ওর বিচিতে চাপ অনুভব করল। নিশি তখন জোরে জোরে চুষছিল। ‘নিশি আমার এখুনি বের হয়ে যাবে’ বলতেই নিশি মুখ সরিয়ে ধোনে হাত উঠানামা করতে করতে রাফির ধোনে যেন বিস্ফোরন হয়ে মাল বের হতে লাগল। সব মাল বের হয়ে গেলে নিশি বিজয়ীর হাসি দিয়ে ধোন থেকে হাত সরিয়ে পা দুটোগুটিয়ে বসল। পায়ের ফাক দিয়ে ওর টুকটুকে লাল গুদ দেখা যাচ্ছিল। রাফি শুধু স্তম্ভিত হয়ে বসে ছিল। ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে এইমাত্র ওর ছোটবোন ওর ধোন চুষে মাল বের করেছে। এটা হতেই পারে না। রাফি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখল ওর তাকিয়ে সে মুচকি মুচকি হাসছে আর হাল্কা করে হাতটা ওর ভোদার উপর বুলাচ্ছে। ‘ওহ ভাইয়া, অসাধারন মজা হল’ নিশি বলে উঠল ‘আমি একদম মাইন্ড করিনি, আমি সবসময় ভাবতাম এটা নোংরা কিছু,কিন্ত আসলে অনেক মজার’ ‘অবিশ্বাস্য’ বলল রাফি ‘আমি ভাবতেই পারছি না আমরা এরকম কিছু করেছি’ ‘আমিও না, কিন্ত আমার এতে খারাপও লাগছে না। তুমি আমার ভাই তাই তোমার কাছে এটা শেখায় আমি সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করছি’ ‘কিন্ত আমি তো এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না’ প্রতিবাদ করল রাফি ‘আগে কখনো আমি এরকম কিছু করিনি’ ‘তাহলে তো আর ভাল, আমরা একসাথে শিখতে পারব’ ‘অনেক রাত হয়েছে তুই এখন শুতে যা’ রাফি বলল ‘এটা নিয়ে আমাদের আরেকটু ভেবে দেখা উচিত’ ‘এখানে ভাবাভাবির কি আছে; তোমার ব্যাপার তুমি কাউকে বলবে না আমারটা আমি কাউকে বলবো না। এটা হবে আমাদের little secret’বলে নিশি উঠে দাঁড়িয়ে এসে রাফিকে জড়িয়ে ধরে ওর ধোনে হাত দিয়ে জোরে একটা চাপ দিয়ে ড্রেসিং রুমের দরজার দিকে আগালো। যেতে যেতে পিছন ফিরে নিশি লাজুক ভাবে বলে উঠল, ‘কেন ভাইয়া আমার pussy চুষতে তোমার ভালো লাগেনি?’ ‘এর চেয়ে মজার কিছুর স্বাদ আমি জীবনে নেইনি’ বলল রাফি ‘কিন্ত তার মানে এই নয় যে এটা করা ঠিক’ ‘আমার কাছে ঠিক আছে আর সেটাই বড় কথা’ নিশি বলল ‘আশা করি আমরা এমন আরও করতে পারব’ ‘ঘুমাতে যা নিশি’ বলল রাফি ‘সকালেই দেখবি তোর কাছে অন্যরকম লাগবে’ ‘সে দেখা যাবে, Good night ভাইয়া’ ‘Good night’ রাফি দরজা বন্ধ করতে করতে বলল।পরদিন সকালে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠে গায়ে একটা গাউন চাপিয়ে ও রুম থেকে বের হল। ভাইয়ার রুমে গিয়ে নক করে দেখল দরজা খোলা। ভাইয়া বের হয়ে গেছে। ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখল মা নাস্তা খাচ্ছে। ওও বসল। কাল রাতে বাবার সাথে চুদাচুদি করতে দেখার পর ওর কাছে আজ যেন মাকে অন্যরকম লাগছে। দিনে দিনে মা যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বাবা অনেক luckyভাবলো নিশি। ‘মা, ভাইয়া কোথায়?’ নিশি জিজ্ঞাসা করল। ‘ও তো আজকে ভোরেই চলে গিয়েছে বুয়েটে, কি যেন একটা অনুস্ঠানের আয়োজন করছে ওরা; তুই তাড়াতাড়ি খেয়ে নে স্কুলের সময় তো হয়ে এল’ নিশি চুপচাপ খেয়ে স্কুলের জন্য রেডী হতে গেল। মার গাড়ী মাকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে ওকে স্কুলে নামিয়ে দিল। ক্লাসে ঢুকেই নিশি জিনিয়ার পাশে ওর সিটের দিকে এগিয়ে গেল। সেখানে নীলা আর ও গল্প করছিল। ‘……রেখেই ওকে ejaculate করতে দিলাম। ওহ! আমি ভাবতেও পারিনি ছেলেদের sperm খেতে এত মজা’ বলছিল জিনিয়া। ‘কিরে কি খেতে এত মজা?’ নিশি গিয়ে বলল। ‘আর বলিসনে নিশি, জিনি নাকি গতকাল শাহেদের spermখেয়ে ফেলেছে!’ বলল নীলা। ‘বলিস কি! তোর ঘেন্না লাগল না, জিনি?’ ‘আরে কিসের ঘেন্না! একবার খালি try করে দেখ তাহলে সারাদিন খালি খেতে ইচ্ছে করবে’ জিনিয়া হাস্যোজ্জ্বল স্বরে বলল। ‘ইশ তোর মত খবিশ আমরা এখনো হইনি’ নিশি আর নীলা একসাথে বলে উঠল। ‘হতে আর কতক্ষন? কিছুদিন পরেই হয়ে যাবি, হিহি’ জিনিয়ার এই কথার সাথে সাথেই বেল পরে গেল আর ওরা যার যার জিনিসপত্র বের করতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। *** স্কুল থেকে ঘরে ফিরে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিশি নেট নিয়ে বসল। একটা porn সাইটে গিয়ে একটা ভিডিও চালু করল। সেখানে মেয়েটিকে ছেলেটার মাল খেতে দেখে ওর জিনিয়ার কথা মনে হয়ে গেল। তখন থেকেই ওর মাথায় কথাটা ঘুরছিল। একটু পরেই মা অফিস থেকে ফিরায় ও কম্পিউটার বন্ধ করে লিভিং রুমে গিয়ে মায়ের সাথে বসে হোমওয়ার্ক করতে লাগল। কিছুক্ষন পরেই রাফি বাসায় এসে লিভিং রুমে ঢুকল। নিশি ওকে হাই দিল। কিন্ত ও যেন নিশির দিকে তাকাতেই পারছিল না। অস্পষ্ট স্বরে কি একটা বলে রাফি ওর রুমে চলে গেল। নিশি একটু অবাক হয়ে ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে রইল। কিছুক্ষন পর উঠে ও ওর ভাইয়ার রুমে গেল।রাফি তখন কোমরে টাওয়েল জড়িয়ে গোসল করতে যাচ্ছিল। ‘কি ব্যপার ভাইয়া’ নিশি জিজ্ঞাস করল ‘তুমি এত অদ্ভুত হয়ে আছো কেন?’ ‘কাল রাতের কথা মনে করে আমার খারাপ লাগছে’ বলল রাফি ‘তোর কি একটু কিছুও লাগছে না?’ ‘একটু একটু, কিন্ত ঠিকআছে, কেন তোমাকে তো আমি রাতেই বলেছি, I haven’t changed my mind’ ‘কিন্ত আমার জন্য ব্যাপারটা অন্যরকম’ ক্ষীনস্বরে বলল রাফি। ‘কিন্ত আমি চাই না তুমি আমার সাথে এরকম অপরিচিতের মত ব্যবহার কর। তুমি আমার সবচেয়ে বড় friend তুমি না থাকলে আমি কাকে বিশ্বাস করব?’ ‘আহা, আমি তো বলছি না যে তুই আমাকে বিশ্বাস করতে পারবি না; It’s just ব্যপারটা হজম করতে আমার কষ্ট হচ্ছে’ ‘তুমি জানো ভাইয়া আজ ঘুম থেকে উঠে আমার এত ভাল লেগেছে যে জীবনে কখনো এমন লাগেনি’ ‘ঠিক আছে আমি মানিয়ে নেব’ রাফি মৃদু হেসে বলল। ‘ব্যপারটা just একটু অন্যরকম’ ‘তাই যেন হয় ভাইয়া’ বলে নিশি তার রুমে ফিরে গেল। *** রাতে খাওয়া শেষে নিজের রুমে বসে নিশি অপেক্ষা করতে লাগল কখন বাবা মা শুতে যায়। কিছুক্ষন পর বাবা-মার রুমের দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ হতেই নিশি উঠে দাড়ালো। গায়ে নীল রঙের একটা পাতলা সিল্কের নাইটি চাপিয়ে পা টিপে টিপে ভাইয়ার ঘরে গেল। রাফিও তখন ড্রেসিং রুমে ফুটোয় চোখ রেখে দাঁড়িয়ে ছিল। ওর পরনে ছিল একটা টি-শার্ট আর হাফপেন্ট।নিশি ঢুকায় মৃদু শব্দ হতে রাফি ফিরে তাকাল। পাতলা নাইটি পড়া নিশিকে দেখে ও কিছুক্ষন হা করে তাকিয়ে রইল। ভাইয়ের এ অবস্থা দেখে নিশি মুচকি হেসে এগিয়ে এসে ওকে সরিয়ে ফুটোয় চোখ দিল। বাবা তখন মাকে কিস করতে করতে মায়ের ম্যাক্সির উর্ধাংশ সরিয়ে তার বিশাল মাই দুটো টিপছিল।সারাদিন ভাইয়ের কথা চিন্তা করে উত্তেজিত হয়ে থাকা নিশির জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। ও ফুটো থেকে মুখ সরিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভাইয়ের দিকে তাকাল। তারপর কাছে গিয়ে দুই হাত দিয়ে ওর মুখখানি ধরল। ভাইয়ার ঠোট যেন ওরটাকে চুম্বকের মতটানছিল। আস্তে আস্তে নিশি ওর মুখটা এগিয়ে আনতেই ওর গরম শ্বাস রাফির মুখে পড়ল। ওর মুখের মিস্টি গন্ধ রাফিকে পাগল করে তুলল। সেও তার ঠোট এগিয়ে নিশিরটা স্পর্শ করল। দুজনার ঠোট স্পর্শ করতেই তাদের দেহে যেন বিদ্যুত খেলে গেল। ভাই বোন সব ভুলে আদিম নরনারীর মত একজন আরেকজনের ঠোট চুষতে লাগল। রাফি তার ঠোটে নিশির নরম জিহবার স্পর্শ পেল। ওও ওর জিহবা বের করে দুজনে দুজনের জিহবা নিয়ে খেলতে লাগল। কিস করতে করতে নিশির হাত রাফির হাফপ্যান্টের ভিতর ঢুকে গেল। সে রাফির ধোনে হাল্কা হাল্কা চাপ দিতে লাগল। রাফির হাত তখন মসৃন সিল্কের নাইটির উপর দিয়ে নিশির পাছার আশেপাশে ঘুরাফেরা করছিল। নিশি রাফিকে বিস্মিত করে দিয়ে এক হাত দিয়ে ধোন টিপতে টিপতে অন্য হাত দিয়ে রাফির হাতধরে ওর একটা মাইয়ের উপর রাখল।জীবনে প্রথমবারের মত নিজের বোনের, কোনো মেয়ের মাইয়ের স্পর্শ পেয়ে রাফির সারাদেহ দিয়ে যেন বিদ্যুত খেলে গেল। সে নাইটির উপর দিয়ে পাগলের মত নিশির মাই টিপতে লাগল আর নিশিও ওর ধোন চাপতে চাপতে ওর ঠোট কামড়ে কামড়ে কিসকরছিল। চরম সুখে ওরা একজন আরেকজনকে আর ধরে রাখতে পারছিল না। কিস করতে করতেই রাফি দুইহাতে বোনকে কোলে তুলে নিল। তারপর ওর বেডরুমে নিয়ে বিছানায় শুয়ে কিস করতে করতে ওর মাই টিপতে লাগল। নাইটির উপর দিয়ে টিপায় নিশির যেন হচ্ছিল না ও একহাত দিয়ে কোনমতে নাইটির একটা ফিতা সরিয়ে একটু নামালো। ওর মাইয়ের উপরের মসৃন অংশ দেখায় রাফিকে আর বলে দিতে হলো না। ও নিজেই নিশির নাইটি আরো একটু নামিয়ে ওর মাঝারি মাই দুটো উন্মুক্ত করে দিল। রাফি আগে কখনো নিশির মাই দেখেনি। ওর টিপাটিপিতে মাই দুটো হালকা লাল লাল হয়ে ছিলো। ওর কাছে মনে হল এর থেকে মজার কিছু আর হতে পারে না। ও বুঝল আব্বু কেন মায়ের মাই খাওয়ার জন্য এত পাগল হয়ে থাকে। একটা মাই হাত দিয়ে ধরে ও মাইয়ে মুখ দিল। নিশি যেন তখন স্বর্গসুখ অনুভব করছে। সে এক হাত দিয়ে রাফির ধোন চাপছিল আর আরেক হাত দিয়ে নাইটির উপর দিয়ে ওর গুদে আঙ্গুল ঘষছিল। রাফি জোরে জোরে মাই চাটতে চাটতে মাইয়ের গাঢ় গোলাপী বোটায় হাল্কা করে দাত লাগাল। নিশি যেন এতে পাগলের মত হয়ে গেল। গুদ থেকে হাত সরিয়ে রাফির হাফপান্টটা একটানে নামিয়ে ফেলল। বুক থেকে রাফির মাথা উঠিয়ে ও রাফির উপর উঠে ওর ধোন মুখে দিয়ে পাগলের মত চুষতে লাগল। রাফি ওর গেঞ্জিটা খুলে ফেলল। চুষার সময় নিশি ওর দাত দিয়ে রাফির ধোনে হালকা হালকা কামড় দিচ্ছিল। এতে রাফির পক্ষে আর বেশীক্ষন মাল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। ও কোনোমতে নিশিকে সাবধান করল যে ওর এখন মাল বের হয়ে যাবে। কিন্ত নিশি যেন আজ এই জগতে নেই। ভাইয়ের কথা শুনে ও যেন আরো জোরে জোরে চুষতে লাগল। আর রাখতে না পেরে বোনের মুখের ভিতরেই রাফি মালের বিস্ফোরন ঘটালো। জিহবায় ভাইয়ের গরম গরম মালের স্পর্শ পেয়েও নিশি মুখ সরিয়ে নিল না। যেন এক মজার জুস খাচ্ছে সেভাবে ওর সব মাল খেয়ে নিল। ধোনের আগায় লেগে থাকা মালও চেটেপুটে খেয়ে নিশি মুখ তুলে রাফির দিকে মুখ তুলে তাকাল।‘ভাইয়া, আরো খাব’ আবদারের সুরে বলল নিশি। রাফি তখন জবাব দিবে কি, বোনের কার্যকলাপ দেখে ও তখন ওর দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। নিশির ঠোটের কোনা দিয়ে সামান্য একটু মাল চুইয়ে পড়ছিল। সেই দৃশ্য দেখে রাফি আবার যেন ভুলে গেল নিশি ওর কে। ‘যাহ তুই একাই খাবি নাকি? এবার আমি খাব’ বলে রাফি নিচু হয়ে নিশি কে ধরে তুলল। বিছানায় ওকে শুইয়ে আস্তে আস্তে ওর নাইটিটা পুরো খুলে ফেলল। এই প্রথম পরিনত নিশির সম্পুর্ন নগ্ন দেহ দেখল ও। নিশির মসৃন দেহের মাঝে যেন সমুদ্রের ঢেউ। পা ফাক করে ওর বালহীন লাল গুদের দিকে তাকিয়ে রইল রাফি। ওর মন চাচ্ছিল যেন অনন্তকাল এই গুদের দিকে তাকিয়ে থাকে। ‘কি হল ভাইয়া? এত কি দেখছ’ নিশি অধৈর্য স্বরে বলে। রাফি তাই মুখ নামিয়ে ওর গুদে মুখ দিল। ও এমনভাবে চুষতে লাগল যেন পৃথিবীর সবচেয়ে মজার জিনিস খাচ্ছে। নিশির মুখ দিয়ে চরম সুখের শীৎকার বেরিয়ে আসতে লাগল।‘উউউউহহহহ………আআআআহহহহহ……ওহহহহহহ ভাইয়াআআ’ গুদ চুষতে চুষতে একসময় নিশির শরীর ধনুকের মত বাকা হয়ে যেতে লাগল। ওর গুদ থেকে গরম মাল এসে রাফি সারামুখ ভরিয়ে দিল। রাফিও চেটে চেটে খেতে লাগল। ‘ভাইয়া……উহহহ….উপরে এস আমি তোমার মুখ থেকে……আআহহহ……আমার রসের স্বাদ নিতে চাই’ নিশি কোনোমতে বলল। রাফি নিশির মাল মুখে নিয়েই উঠে এসে নিশিকে কিস করতে লাগল। নিশিও তার নিজের মালের নোনা স্বাদের সাথে ভাইয়ের কিস উপভোগ করছিল। রাফি একহাত দিয়ে নিশির একটা মাই টিপতে লাগল আর অন্য হাত দিয়ে ওর গুদে আঙ্গুল ঘষতে লাগল। ভাইয়ের এই অন্যরকম সোহাগে নিশি পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। ও হাত দিয়ে রাফির মাথা তুলে ধরে ওর চোখের দিকে তাকাল। নিশির এই আচমকা পরিবর্তনে রাফি থেমে গেল। ‘ভাইয়া তোমার penis টা আমার pussy তে ঢুকাও, আমি আমার ভিতর তোমার গরম রসের স্পর্শ চাই’ নিশি বলে উঠলো। ‘কি বলছিস এসব, তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে?’ রাফি চমকে উঠে বলল। ‘কিচ্ছু হবে না ভাইয়া, আমি পিল খাচ্ছি’ ‘না নিশি এ হয় না, তাছাড়া অনেক ব্যাথাও পাবি’ লাগল। ওওওওহহহহ…..মাআআআগো……ভাইয়া….আরো……উউউউউহহহহহ……জোরে……আআআআহহহহ’ নিশির শীৎকারে এবার রাফি পাগলের মত জোরে জোরে থাপ দিতে লাগল। নিশিও প্রচন্ড উপভোগ করছিল তাই ভাইয়ার মাল পড়ার আগেই ওর একবার চরম পুলক হয়ে গেল। থাপ মারতে মারতে একসময় রাফি বুঝল ওর এখনি মাল আউট হবে। ও পুরো ধোনটাই নিশির গুদের ভিতর ঢুকিয়ে দিল, সাথে সাথে ওর গরম মালে নিশির গুদ ভরে যেতে লাগল। নিশি যেন তখন সুখের হাওয়ায় ভাসছে। মাল শেষ হয়ে গেলে রাফি উলটে গিয়ে নিশিকে তার উপরে এনে আদর করতে লাগল। ও নেটে পড়েছিল যে মেয়েরা মাল ফেলার পরও কিছুক্ষন ছেলেদের আদর পেতে পছন্দ করে। রাফি ওর মসৃন পিঠে হাত বুলাতে বুলাতেই নিশি বলে উঠল, ‘ওহ ভাইয়া thank you so much,তোমার জন্যই আমার first time আমার কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে’ বলে রাফির ঠোটে একটা চুমু দিয়ে উঠে নাইটিটা বিছানা থেকে তুলে নিল। ‘Good night ভাইয়া’ নিশি দরজার দিকে যেতে যেতে বলল। ‘Good night my little sis’ বলে রাফি আনমনে নিশির যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে রইল। ***** ছুটির দিন বলে ঘড়িতে অ্যালার্মও দেয়নি তবুও সকালেই রাফির ঘুম ভেঙ্গে গেল। উঠে ড্রেসিং রুমে গিয়ে ফুটোয় চোখ রেখে দেখল ওর আম্মুরও মাত্র ঘুম ভেঙ্গেছে। আম্মু উঠে আড়মোড়া ভেঙ্গে আব্বুর নেতিয়ে পড়া ধোনের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল তারপর হাতে নিয়ে চুষতে আরম্ভকরল। বাবা ঘুম ভেঙ্গে কিছুক্ষন মায়ের চোষা উপভোগ করলো তারপর মাকে তুলে নিয়েই ধোন ঢুকিয়ে চুদতে লাগল। বেশ কিছুক্ষন পরে বাবার মাল আউট হয়ে গেল। এতক্ষন রাফি দমবন্ধ করে দেখছিল আর কাল রাতে নিশিকে চোদার কথা মনে করছিল। মাল ফেলে দিয়ে আব্বু আম্মু দুজনেই উঠে একসাথে বাথরুমে গেল। নতুন কিছু দেখার আশায় রাফি তাকিয়ে রইল। কিন্ত ওকে হতাশ করে দিয়ে আব্বু আম্মু বের হয়ে কোথায় যেন যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগল। রাফিও শুধু একটা ট্রাউজার পরে খালি গায়ে রুম থেকে বের হল। লিভিং রুমে গিয়ে দেখে রেডি হয়ে আব্বু আম্মু দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে ওর মা বলে উঠল, ‘আমি আর তোর আব্বু একটু বাইরে যাচ্ছি, তোর আব্বুর friend শুধু আমাদেরকে ওনার নতুন রিসর্টে আমন্ত্রন দিয়েছেন। আজকে সারাদিন আমরা ওখানেই থাকব। বুয়া কে বলে দিয়েছি আজ কি কি রাঁধবে, তুই কি কোথাও যাবি আজকে?’ ‘হ্যা বিকালের দিকে একটু friend এর বাসায় যাব’ রাফি বলল। ‘তাহলে যাওয়ার আগে নিশিকে ওর নাচ শিখতে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিস’ ‘ঠিক আছে মা’ বলে রাফি বাবা-মাকে বিদায় দিল। আব্বু আম্মু বাসা থেকে বের হতেই রাফি নিশির ঘরের কাছে গেল। ও অবাক হয়ে দেখল দরজাটা শুধু একটু ভেজান রয়েছে। ও আস্তে আস্তে দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকল। নিশি ওর বিছানায় সম্পুর্ন নগ্ন হয়ে ঘুমিয়ে আছে, একটা হাত ওর গুদের উপর রাখা। দিনের আলোয় নিশির নগ্ন দেহ রাফির কাছে মনে হল যেন কোন শিল্পীর ভাস্কর্য। রাফি দরজাটা আস্তে করে বন্ধ করে দিয়ে নিশির দিকে এগোল। নিশির মুখে একটা হাসি ফুটে রয়েছে, নিশ্চই কোন সুন্দর স্বপ্ন দেখছে। রাফি ওর হাল্কা গোলাপী মাই গুলো স্পর্শ করল। নিশি একটু নড়ে উঠল। রাফি এবার ওর মাইয়ে লাল করে ফেলল। ‘আআআআআহহহ…ওওওওওহহহহহহ্‌……ওওওওমাআআআ……উউউউউহহহহহহ’ নিশি জোরে জোরে শীৎকার দিচ্ছিল। নিশি এবার ওর মাই থেকে ভাইয়ার মাথা সরিয়ে ওর ট্রাউজার খুলে ফেলল। তারপর ওর ধোন এর চারপাশ জিহবা দিয়ে চাটতে লাগল কিন্ত ইচ্ছে করেই ধোনে মুখ দিচ্ছিল না। রাফিও নিশির এই দুস্টুমি আর সহ্য করতে পারল না। ও ওর মাথা ধরে ওর ধোনের কাছে আনতে চাইল কিন্ত নিশি পিছলে সরে গিয়ে এবার ওর বিচি দুটো মুখে পুরে চুষতে লাগল। রাফি হাল ছেরে দিয়ে শুয়ে পড়লো। নিশি বিচি চুষতে চুষতে আস্তে আস্তে ধোণের দিকে এগিয়ে যখন ধোনে মুখ দিল, তখন রাফির মনে হল যেন এখুনি ওর সব মাল বের হয়ে যাবে। নিশি জিহবা দিয়ে পুরো ধোনের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত চাটলো। তারপর ঠোটে পুরে মুখ উঠানামা করতে লাগল। বোনের দুস্টুমীতে রাফি প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। তাই নিশিকে ওর ধোন থেকে নিজের উপরে তুলে এবার কোন দ্বিধা না করেই নিশির গুদে ধোন ঢুকিয়ে দিল। প্রথম থেকেই রাফি জোরে জোরে তলথাপ দিচ্ছিল আর নিশিও কাল রাতের চেয়েও অনেক বেশি উপভোগ করছিল। ওও উপর থেকে ভাইয়ের গুদে থাপ দিতে লাগল। থাপাতে থাপাতে রাফির আগেই নিশির গুদের রস বের হয়ে গেল। নিশি ভাইয়ার ধোন থেকে উঠে গিয়ে ওটার দিকে তাকাল, ওর নিজের মাল ভাইয়ার ধন থেকে বেয়ে বেয়ে পড়ছে। এভাবে চরম মুহুর্তে এসে থেমে যাওয়াতে রাফি একটু অবাক হয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে ছিল। নিশি একবার ওর দিকে নজর দিয়ে ঝুকে আবার ধোন চুষতে লাগল। চোদা খেয়ে এমনিতেই রাফির হিট উঠে ছিল। তাই কিছুক্ষন চুষার পরই রাফির মাল বের হতে লাগল। নিশি তৃষ্ঞার্তের মত সব মাল চেটে খেয়ে ওর ধোনটা পরিস্কার করে ভাইয়ার দিকে করুন চোখে তাকালো। ওর দৃষ্টি দেখে রাফি বুঝল আরো চায় ও। ছোট বোনের অনুরোধ কি আর কোনো ভাই ফেলতে পারে। ও আবার নিশিকে বুকে টেনে নিল…… read more ভাবিকে মন ভরে চুদলাম Be the first to comment! read more আমার সেক্সি শালী রেনুকে নতুন খেলা শিখানো Be the first to comment! আমিও কি বলব বুঝলাম না। আমি বললাম ‘ এটা একটা খেলনা “। রেনু বলল “ তাই বুঝি… তা এটা read more আগে আমাকে চুদে দে ভাই, তারপর অন্য কথা হবে Be the first to comment! আমি কান্তা আপুকে বললাম তুমি আগের থেকে অনেক বেশী সুন্দরী হয়েছ। কান্তা আপু আমার কথা শুনে খুব খুশী হয়ে গেল। সন্ধার পর হাসান দুলাভাই আসল। আমার সাথে আলাপ হল। আসলে খুব ফুর্তিবাজ মানুষ। আমাকে অল্প সময়ে আপন করে নিল। বলল আমাকে হাসান ভাই বলবে। দুলাভাই শুনতে আমার ভালো লাগে না। আমিও তার কথায় রাজী হয়ে হাসান ভাই বলতে লাগলাম। আমরা ৩ জন বসে গল্প করতে লাগলাম, হাসান ভাই তার কলেজ জীবনের মজার মজার কথা আমাদের বলতে লাগল। আমরাও মজা করে শুনতে লাগলাম। রাত ৯ টার দিকে আমরা খাওয়া দাওয়া করে আবার ড্রয়িং রুমে গল্প করতে লাগলাম। হাসান ভাই কিছুক্ষন পর বলল, কান্তা আজ অনেকদিন পর আড্ডা মারছি একটু হুইস্কি হলে ভালো হত। কান্তা আপু বলল, কি বল সুমন অনেক ছোট ও এসব কক্ষনও খায় নাই। হাসান ভাই বলল, আজকে আমাদের সাথে খাবে আর ও এখন আর ছোট নেই। কান্তা আপু আমার দিকে চেয়ে বলল, কিরে সুমন তোর কি ইচ্ছে? আমি বললাম, আমি বন্ধুদের সাথে ১/২ বার খেয়েছি আমার কোন অসুবিধা হবে না। হাসান ভাই বলল, এই তো সাবাস এই না হলে বেটা ছেলে। যাও ডার্লিং নিয়ে এস, আজ তুমিও আমাদের সাথে খাবে। কান্তা আপু বলল, আমি বাবা একবার খাব আমি বেশী খেতে পারব না। আমি আর হাসান ভাই বললাম, তুমি আমাদের সাথে থাকলেই হবে। এরপর কান্তা আপু ৩ টা গ্লাস আর হুইস্কির বোতল নিয়ে টেবিলে রাখল, সাথে কিছু চানাচুর আর নোনতা কাজু বাদাম। আমরা হুইস্কি খেতে খেতে গল্প করতে লাগলাম।কান্তা আপু আর হাসান ভাই আমার সামনেই চুমাচুমি করতে লাগল। আমি বুজলাম তারা গরম হয়ে গেছে। তাদের দেখে আমিও গরম হচ্ছিলাম। একটু পর হাসান ভাই কান্তা আপুকে নিয়ে তাদের বেডরুমে চলে গেল, হাসান ভাই যাবার সময় আমাকে চোখ মেরে গেল যাতে আমি বুজলাম যে এখন হাসান ভাই বিছানায় কান্তা আপুকে ন্যাংটা করে ইচ্ছা মত চুদবে। আমি ড্রয়িং রুমে কিছুক্ষন বসে রইলাম একটু পর কান্তা আপুর বেডরুম থেকে আপুর গলা শুনতে পেলাম, আহ আহ আহ দুধ দুটা জোরে জোরে টিপ, হাসান আমার দুধ দুটা মুখে নিয়ে চুষে চুষে খাও, ……………… উফ উফ আহহহহ আহহহহ ডার্লিং আস্তে আস্তে দাও উঃ উঃ । আমি কি পালিয়ে যাচ্ছি আহহ আহহ আহহ দাও জোরে জোরে কামড়ে দাও ইসসসস ইসসস আহ আহহ আহহ উঃ মা মা উম ওহ আহ ওহ ………… আমি বুজলাম হাসান ভাই কান্তা আপুকে চুদছে, আমি রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন হাসান ভাই অফিসে গেল না, আমি হাসান ভাই আর কান্তা আপু ঘুরতে বের হলাম। আমরা পতেঙ্গা সমুদ্র বন্দর গেলাম, পরে ফয়েজ লেক, চিড়িয়াখানা ঘুরলাম। আমরা দুপুরে বাইরে হোটেলে লাঞ্চ করলাম। ফিরার পথে হাসান ভাইয়ের মবাইলে ফোন এল তাকে ব্যাবসার কাজে আজ রাতেই ঢাকা যেতে হবে। হাসান ভাই রেগে গেল দূর শালা একটু ইচ্ছেমত সময় কাটানো যাবে না। আমি আর কান্তা আপু হাসান ভাইকে বুঝালাম এরপর হাসান ভাই আমাকে বলল তুমি ২ দিন এখানেই থাকো আমি ২ দিন পর চলে আসব। তখন তোমার সাথে জমিয়ে আড্ডা মারব। হাসান ভাই রাত ৮ টার বিমানে ঢাকা চলে গেল। আমি আর কান্তা আপু সন্ধে বেলা এয়ারপোর্টে হাসান ভাইকে বিদায় জানিয়ে একটু রাতের চিটাগাং রিক্সায় ঘুরে হোটেলে খেয়ে কান্তা আপুর ফ্লাটে ফিরলাম। ফ্লাটে এসে কান্তা আপু নিজের রুমে চলে গেল, আমি ড্রয়িং রুমে বসে টি ভি দেখতে লাগলাম, একটু পর কান্তা আপু এসে আমাকে বলল কিরে সুমন ভালো লাগছে না। আয় আমি বললাম, তোমার ইচ্ছে করলে আমার কোন আপত্তি নাই। এরপর কান্তা আপু ২ টা গ্লাস আর হুইস্কির বোতল নিয়ে এল। আমরা দুজনে আস্তে আস্তে হুইস্কি খেতে লাগলাম আর গল্প করতে লাগলাম। জানিনা কতটা খেয়েছি আমার মাথাটা বেশ ভারি হতে লাগল, আর কান্তা আপুর কথা ও আবোল তাবোল হতে লাগল। খানিক পর কান্তা আপু আমাকে বলল, তুই একটু বস আমি আমার কাপড় চেঞ্জ করে আসি। কান্তা আপু তার বেডরুমে কাপড় চেঞ্জ করতে চলে গেল। কান্তা আপু যখন কাপড় চেঞ্জ করে ফিরে এল তাকে দেখে আমার চোখ তার দিকে আতকে গেল আমার ধন টান টান শক্ত হয়ে গেল। কান্তা আপু একটা গোলাপি স্বছ নাইটি পরে এল, আর নাইটির নিচে আর কিছু পড়ে নাই। নাইটির নিচে কান্তা আপুর গোল গোল ডাবের মত বড় বড় দুধ দুটা আর দুধের বোটা দেখা যাচ্ছিল। আর নিচে প্যানটি না থাকায় আপুর ভোঁদার চারিদিকে ঘন কালো কালো বালগুলো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। আমি আস্তে করে কান্তা আপুকে বললাম, " আপু তুমি আমার সামনে এই রকমের কাপড় পড়ে থাকলে আমি নিজের উপর কন্ট্রোল রাখতে পারব না।" আমার কথা শুনে কান্তা আপু হা হা … হা হা করে হেসে আমার সামনে এসে দাড়িয়ে বলল হেনা খালা আমাকে সব বলেছে। আমি কান্তা আপুর দুধ দুটা নাইটির উপর থেকে দেখতে দেখতে বললাম, " কান্তা আপু তোমার দুধ দুইটা অনেক সেক্সি, তোমার নিচের ভোদা না জানি কত সেক্সি"? আমার কথা শুনে কান্তা আপু মুচকি হেসে আমাকে বলল, " হেনা খালার কাছে তোর ধনের কথা শুনেছি এখন তোর ধনটা আমাকে দেখা তারপর আমি তোকে আমার ভোদা দেখাব।" কান্তা আপু আবার হেসে আমাকে বলল, আমি একবার দেখতে চাই আমি তোর কাছে কতটা সেক্সি আমাকে দেখে সত্যি সত্যি তোর ধন খাড়া হয়েছে কিনা? আমি কান্তা আপুর কথা শুনা মাত্র আমার পায়জামা আর জাঙ্গিয়া খুলে আপুকে আমার ৭ ইঞ্চি লম্বা ধনটা হাতে ধরে নাড়াতে লাগলাম। আমার ধনটা শক্ত হয়ে টান টান হয়ে ছিল। কান্তা আপু বলল, হ্যাঁরে সুমন হেনা খালা সত্যি বলেছে তোর ধনটা অনেক মজা দিতে পারবে। আমি বললাম, আপু হেনা খালা সত্যি তোমাকে সব বলেছে? কান্তা আপু বলল, না বললে আমি তোকে কিভাবে বলছি, আর হেনা খালা আর আমার সম্পর্ক বান্ধবীর মত। কান্তা আপু বলল, সুমন আমাকে দিবি হেনা খালার মত সুখ, তোর ধনটা দিয়ে আমাকে মজা দিবি। আমি বললাম, আপু হাসান ভাই যদি জানতে পারে তখন খুব খারাপ হবে। কান্তা আপু বলল, আমরা কেউ যদি না বলি তাহলে হাসান কিভাবে জানবে। এই বলে নিজের ঠোঁটের উপর জিভ ঘুরাতে লাগল। আমি কান্তা আপুর হাবভাব দেখে বুজলাম, কান্তা আপু আমাকে দিয়ে চুদাতে চায়, আর হেনা খালার সাথে আমার চুদাচুদির কথা জানে, তাই আমি এরকম একটা সেক্সি ভোদা কেন ছেরে দিব। আমি উঠে দাড়িয়ে কান্তা আপুর দুধ দুইটা নাইটির উপর থেকে ধরলাম আর আস্তে আস্তে হাত বুলাতে লাগলাম, কান্তা আপু কিছু না বলে মুচকি মুচকি হাস্তে লাগল। আমি এবার কান্তা আপুর নাইটি নিচ থেকে উঠিয়ে কান্তা আপুর শরীর থেকে খুলে দূরে ছুরে ফেললাম। এখন কান্তা আপুর সেক্সি শরীর টা আমার সামনে পুরা উলঙ্গ। কান্তা আপুর সুন্দর ডাবের মত দুধ দুটা একদম খোলা দেখে আমি পাগলের মত হয়ে গেলাম। দুধ দুইটা বড় বড় তবে টান টান কোঁথাও জুলে পড়ে নাই। বোটা দুইটা প্রায় ১ ইঞ্চি লম্বা আর খাড়া খাড়া। এবার কান্তা আপুর ভোঁদার দিকে তাকালাম, উফ আপুর ভোঁদার কোন জবাব নেই এত সুন্দর ভোদা আমি আগে দেখি নাই। ভোঁদার উপরের বাল গুলা খুব সুন্দর করে ছাটা, আর ভোঁদার ঠোঁট আর ভোঁদার বিচির উপরে একেবারে পরিস্কার করে রাখা। আমি আপুকে বললাম তোমার ভোঁদার বাল গুলা এত সুন্দর করে কিভাবে ছাঁট? তুমি কি নিজেই আমার কথা শুনে কান্তা আপু বলল, আরে দূর বোকা, নিজের ভোদা এত সুন্দর করে ছাটা যায় নাকি? এটা তোর হাসান ভাই ছেঁটে দেয়। হাসান আমাকে পা ফাঁক করে শুইয়ে রেখে একটা ছোট কাঁচি নিয়ে আমার ভোঁদার বাল ছেঁটে দেয়। আমি এবার আস্তে করে কান্তা আপুকে নিজের দুই হাতে জড়িয়ে ধরলাম আর আপুর দুধ দুটা আস্তে আস্তে টিপতে লাগলাম। কান্তা আপুও আমাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মুখ ঘষতে লাগল। আমি আস্তে আস্তে দুধ দুটা জোরে জোরে টিপতে লাগলাম, আর কান্তা আপুর মুখ থেকে আহ আহ ইসসস ইসসস উফফ উফফ উম করতে লাগল। আমি আপুকে জড়িয়ে ধরে ঠোটের উপর চুমু খেতে খেতে নিচের ঠোটটা আমার মুখে নিয়ে চুষতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর আপু আমার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করে আমার গেঞ্জি খুলে দিল। এবার আমিও পুরা ন্যাংটা হয়ে গেলাম। কান্তা আপু বলল, সুমন তোকে ন্যাংটা দেখতে খুব ভালো লাগছে।তোর শক্ত ধনটা কি রকম দাড়িয়ে আছে।এটাকে সাবধানে রাখিস মেয়েরা দেখলে তোর খবর আছে। আমি বললাম, অন্য সব মেয়েদের কথা বাদ দাও, তোমার এটা পছন্দ হয়েছে কি না?কান্তা আপু আমাকে চুমু দিয়ে বলল, পছন্দ না হলে তোর সামনে ন্যাংটা হয়ে আছি কেন? তাছারা হেনা খালার কাছ থেকে শুনার পর থেকে তোর ধনের চোদন খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি।এইবার তুই আমাকে তারাতারি করে চুদে দে, আমার ভোদায় আগুন জ্বলছে তোর শক্ত ধন দেখে। কান্তা আপুর কথা শুনে আমি আপুর পাছাটা জড়িয়ে ধরে একটা দুধ মুখে নিয়ে চুষতে লাগলাম, আর অন্য দুধটা এক হাতে টিপতে লাগলাম আপু ওহ ওহ ওহ আহ আহ আহ আহ ইসস ইসস ইসস ...... করতে লাগল। কান্তা আপু আমার ধনটা ধরে মোচড়াতে লাগল, এবার আমার শক্ত হয়ে থাকা ধনটা ধরে টানতে টানতে বেদ্রুমে নিয়ে এল। বেডরুমে এসে আপু আমাকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিল আর আমার ধনটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগল।তারপর বলল " তুই এখন চুপ করে শুয়ে থাক, আমি তোর ধনটা চুষে চুষে রস বের করে খাব।" আমি বললাম, ঠিক আছে তুমি আমার রস খাও, তবে আমাকেও তোমার এই সুন্দর ফোলা ফোলা রসে ভেজা ভোদার রস খেতে দাও। এক কাজ কর তুমি আমার উপরে উপুড় হয়ে ৬৯ পজিশনে শোও আমি তোমার ভোদার রস আর তুমি আমার ধনের রস খেতে থাকি। তারপর আমি আর কান্তা আপু বিছানার উপরে ৬৯ পজিশনে শুয়ে পড়লাম। আমি আপুকে নিজের উপর উঠিয়ে নিলাম আর আপুর ভোদার উপরে এলোপাথারি চুমা খেতে লাগলাম। আপুও অন্যদিকে আমার ধনের মাথায় চুমু খেতে লাগল। কিছুক্ষন চুমু খেয়ে আপু আমার ধনের মাথাটা আস্তে করে মুখের ভিতর ঢুকিয়ে নিয়ে জিভ দিয়ে চাটতে লাগলো আবার মাঝে মাঝে আইস্ক্রিমের মত চুষতে লাগলো। আমি আপুর ধন চোষার ফলে পাগল হয়ে যাচ্ছি, আপুর ভোদাটা দুই আঙ্গুল দিয়ে ফাক করে ধরে আমার জিভটা যতটা ঢুকানো যায় ঢুকিয়ে ভোদা চাটতে লাগলাম। কান্তা আপু আমার ধনের প্রায় অর্ধেক মুখে ঢুকিয়ে চুষতে লাগল, আমিও কোমরটা একটু আস্তে আস্তে উপরে করে আমার ধন দিয়ে আপুর মুখে হালকা হালকা ঠাপ মারতে লাগলাম। এবার আমি কান্তা আপুর পা দুটা ভালো করে দুই দিকে ছড়িয়ে দিলাম এতে আপুর হালকা হালকা বালে ঢাকা ভোদাটা আমার চোখের সামনে পুরাপুরি খুলে গেল। আমি আমার জিভ দিয়ে আস্তে আস্তে আপুর ভোদা চাটতে শুরু করলাম। আমার জিভ লাগার সাথে সাথে আপুর ভোদা দিয়ে হালকা হালকা রস বেরুতে লাগলো আর আমি জিভ দিয়ে চেটে চেটে সেই রস খেতে লাগলাম। এদিকে কান্তা আপুও ভোদা চাঁটার সঙ্গে সঙ্গে তার কোমর নাড়ানো শুরু করে দিল আর মাঝে মাঝে কোমরটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমার সারা মুখের উপর ভোদাটা ঘষতে লাগলো। এদিকে আমি ভোদা চাটার সাথে সাথে আমার একটা আঙ্গুল কান্তা আপুর ভোঁদার ভিতর ঢুকিয়ে দিলাম আপু উফফ...... আহহহহ...... আহহহ...... করতে লাগল। আমি তখন অন্য হাতটা আপুর কোমরের উপর রেখে দিয়ে তার পাছায় হাত বুলাতে লাগলাম। পাছায় হাত বুলাতে বুলাতে আমি আস্তে করে একটা আঙ্গুল আপুর পাছার ছেদার উপর ঘষতে লাগলাম। একটু পড়ে আমি ভোঁদার ভিতর ভরা আঙ্গুলটা বের করে ভোঁদার ভেজা রস কিছু আপুর পাছার ছেঁদায় লাগিয়ে আস্তে আস্তে আঙ্গুল পাছার ছেঁদায় ঢুকিয়ে দিলাম। পাছার ছেঁদায় আঙ্গুল ঢুকাতেই আপু হই হই করে আমাকে বলল, "সুমন তুই তো একেবারে পাকা খেলোয়াড় হয়ে গেছিস, ভোঁদার সাথে সাথে আমার পাছার ছেঁদায় নজর দিচ্ছিস। তোর মতলব কি? ভাই আগে আমার ভোদাটা ভালো করে চুদে তোমার ধনের রস দিয়ে ভোঁদার আগুন নিবিয়ে দে। পরে পাছার ছেঁদাতে ধন ঢুকাস।" আপুর কথা শুনে আমি ভোদা থেকে জিভ বের করে জিজ্ঞেস করলাম, আপু হাসান ভাইকি তোমার পাছার ছেঁদা দিয়ে ঢুকায়? আপু আমার কথা শুনে আমার ধনটা মুখ থেকে বের করে বলল, হ্যাঁ হাসান আমার পাছার ছেঁদায় ঢুকাতে অনেক পছন্দ করে। আমার ভোদা চুদলে যেমন মজা লাগে পাছার ছেঁদা চুদলেও মজা লাগে। তোর হাসান ভাই আমার কিছুক্ষন পর কান্তা আপু বলল, সুমন আর পারছি না এবার আমাকে চিত করে ফেলে আমার ভোঁদার ভিতর তোর শক্ত ধনটা ঢুকিয়ে আমাকে ভালো করে চুদে দে। ভোঁদার জ্বালায় আমি আর থাকতে পারছি না। আমার ভোদা তোর ধনের ঠাপ খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ছে। আমি বললাম, "আপু অস্থির হচ্ছ কেন, আগে আমি তোমার ভোঁদার রস খেয়ে নেই, তোমার ভোঁদার রস অনেক মজা"। এবার কান্তা আপু তার ভোদা আমার মুখের উপর ঘষতে ঘষতে বলল " ঠিক আছে সুমন তোর যা মন চায় কর, এখন এই ভোদাটা তোর, তোর যা যা করতে ইচ্ছা হয় কর। আর শোন আমাকে এখন আপু আপু বলবি না, চুদাচুদি করার সময় আমার খিস্তি মেরে কথা বলতে ভালো লাগে। আমি কান্তা আপুর কথা শুনে বললাম, ঠিক আছে ছিনাল মাগী তোমার যা ভালো লাগে আমি তাই বলবো, তুমি চাইলে আগে তোমার ভোদা চুদে দিয়ে তারপর তোমার ভোঁদার রস খাব। তুমি কোনটা চাও ভোদা চোদানি মাগী। এই বলতে বলতে আমি আপুর ভোদায় দুইটা আঙ্গুল ঢুকিয়ে ভোদা খেঁচতে লাগলাম একটু পর আপুর ভোদা রসে ভরে গিয়ে খপ খপ আওয়াজ বেরুচ্ছে। আপু একেবারে অস্থির হয়ে উঠল মুখ থেকে আমার ধনটা বের করে বলল, ওরে শালা বোনচোদ হারামি তুই তারাতারি আমার উপড়ে উঠে আমাকে চুদে দে ভালো করে। শালা খালাচোদা আমার ভোদা চুষে চুষে আমার ভোদায় আগুন জালিয়ে দিয়ে চুপচাপ মজা নিচ্ছে। আচ্ছা এখন আমার ভোদা চুষা বন্ধ কর শালা আমার বাথরুমে যেতে হবে পেশাব করতে। এরপর কান্তা আপু আমার ধন মুখ থেকে বের করে উঠে বসল আর বিছানা থেকে নামার জন্য তৈরি হল, আমি আপুকে জড়িয়ে ধরে বললাম, "কোথায় যাচ্ছ? আর একটু দেরী কর না আমি তোমার ভোঁদার রস বের করে নেই।" আপু আমাকে চুমু দিয়ে বলল, " না সোনা আমার কথা শুন, আমি বাথরুম থেকে পেশাব করে আসি তারপর তুমি যত খুশী ভোদা চেট, এখন ভোদা চাটলে আমার পেশাব বেরিয়ে তোর মুখে পড়বে।" আমার সাথে সাথে হেনা খালার মুতের কথা মনে পড়ে গেল। আমি বললাম "আপু দাও আমার মুখে মুতে দাও, তোমার ভোঁদার থেকে বের হওয়া মুতের স্বাদ নিতে দাও"। কান্তা আপু আমার কথা শুনে বলল " ধ্যাত অসভ্য কোথাকার, এটা হয় নাকি? কেউ কারো মুখে মুতে? তোর হাসান ভাইও কোনদিন এমন বলে নাই।" আমি আপুকে জোর করে বললাম, " আর কারুর কথা আমি জানি না, আজকে তুমি আমার মুখে মুতবে। অন্য কিছু আমি শুনব না। এখন বল তুমি কোথায় মুতবে? এই বিছানায় আমার মুখে বসে না বাথরুমে আমি শুয়ে থাকব তুমি আমার উপরে বসে মুতবে?" কান্তা আপু এবার একটা সেক্সি হাঁসি দিয়ে বলল, "আমি কিছু জানি না। তুই একটা অসভ্য, বদমাশ, তোর যা ভালো লাগে কর"। আমি তখন বিছানা থেকে উঠে আপুকে নিয়ে আপুর ঘরের ভিতর এটাচড বাথরুমে গেলাম। আপু এবার মুখ নিচু করে আমাকে বলল, "নে হারামজাদা এবার নিচে শুয়ে পর আর আমি তোর মুখের উপর ভোদা রেখে বসে বসে মুতি, দেখি তুই কেমন করে আমার ভোদা থেকে বের হওয়া মুত খাস।" কান্তা আপুর কথা শুনে আমি বাথরুমের মেঝেতে শুয়ে পড়লাম আর বললাম, " আপু চলে আসো তোমার ভোদাটা আমার মুখের উপর রেখে আমার বুকের উপর বসে পরো।" আপু আমার কথামত তার দুই পা আমার কাঁধের দুই দিকে রেখে ভোদাটা আমার মুখের উপর রেখে বসে পড়ল। তারপর আমার মাথাটা দুই হাতে চেপে ধরে বলল, " সত্যি আমার মুত খাবি, নাকি আমার সাথে ফাজলামি করছিলি?" আমি কোন কথা না বলে আপুর ভোদাটা দুই আঙ্গুল দিয়ে ফাঁক করে রসে ভেজা ভোঁদার ভিতরটা দেখতে লাগলাম। কান্তা আপুও কিছু না বলে দুই হাতে আমার মাথাটা ধরে আমি কিছু না বুজতেই সির সির করে আমার মুখের ভিতর মুততে লাগলো। আপু আমার মাথাটা শক্ত করে চেপে আপু আমার মুখের উপর মুত ছাড়তে ছাড়তে হা হা হা … হা হা হা … করে হেসে আমাকে বলল, "কি বাবুর শখ পুরা হল? না কি আর কারও মুত খাবার ইচ্ছে আছে?"আমি মাথা নেড়ে বললাম, " নারে আপু এখনকার মত তোমার ভোঁদার মুত খেয়েই খুশী। আবার কখনও সুযোগ এলে তখন আবার না করো না।" এই বলে আমি আমার মুখটা আপুর ভোঁদার ভিতর ঢুকিয়ে জিভ দিয়ে চেটে চেটে ভোদা পরিস্কার করে দিলাম। কান্তা আপু বলল, " সুমন তুই তো জানিস না মেয়েরা যখন মুতে তখন কয়েক ফোটা মুত গড়িয়ে গড়িয়ে পাছার ছেদার কাছে চলে যায়, তুই আমার ভোদা চেটে পরিস্কার করলি, এখন পাছার ছেদা কে পরিস্কার করবে?" আমি ভোদা থেকে মুখ তুলে বললাম, " শালী রাণ্ডী তুমি চিন্তা করো না, আমি যখন তোমাকে আমার মুখের উপর বসিয়ে মুতিয়েছি তারপর তোমার ভোদা জিভ দিয়ে চেটে চেটে পরিস্কার করে দিয়েছি, তাহলে তোমার পাছার ছেঁদাও আমি চেটে চেটে পরিস্কার করে দিব। তুমি শুধু হাঁটুর উপর ভর দিয়ে পাছাটা একটু উপরে তুলে ধরো।" আমার কথামতো আপু পাছাটা তুলে ধরল আর আমি দুই হাতে আপুর কোমর জড়িয়ে ধরে আপুর পাছার ছেঁদা জিভ দিয়ে চেটে চেটে পরিস্কার করতে লাগলাম। আপুর পাছার ছেঁদায় জিভ লাগতেই " সিসিসিইইইইইইইইইইই… ওহহহহহহহহহহহ… আহহহহহহহহহহহহহহ… ইসসসসসসসসস… করতে লাগল আর কমরতা নাড়িয়ে নাড়িয়ে আমার সারা মুখের উপর পাছা ঘষতে লাগল। আমিও জিভ দিয়ে আপুর পাছার ছেঁদা আর দুই পাছা চেটে চেটে পরিস্কার করে দিলাম। এরপর আপু আমার উপর থেকে উঠে পড়ল আমিও উঠে বসলাম। আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বলল, "সুমন সত্যি আজ আমার মুত খেয়ে আমাকে নতুন এক আনন্দ দিলি তারপর আমার পাছার ছেঁদা চেটে চেটে আমাকে পাগল করে দিলি, আমি এখন তোর চোদা খাওয়ার জন্য গরম হয়ে আছি। তুই এখন আমাকে বিছান্তে নিয়ে আগে আমাকে চুদে দে ভাই, তারপর অন্য কথা হবে read more গতকাল রাতে আমার ছোট বোন নায়লাকে হাতে নাতে ধরে ফেলছি। Be the first to comment! রাত রান্নাঘরে যাচ্ছিলাম। নায়লার বেডরুমের সামনে দিয়ে যাবার সময় কানে একটা আশ্চর্যজনক শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দটা বোনের রুমের ভেতর থেকে আসছে বলে মনে হল। ঘুরে দাড়িয়ে আমি শব্দটা বোঝার জন্য ওর ঘরের কাছে যেতে লাগলাম যতই কাছে গেলাম শব্দটা আরো বড় হতে থাকলো। কাছে গিয়ে দরজায় কান পাতলাম। “ওহহহহ আহহহহ ইয়েসসসসস ফাক মি, ফাক মি, হার্ডার ফাস্টার”। অবশ্যই এটা ছিল আমার ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া ১৬ বছরের ছোট বোনের কন্ঠ। আর রুমের ভিতর ও কি কাজ করছে সেটা আর বলে দেবার দরকার নাই। তবে কি নায়লা ওর কোন বয়ফ্রেন্ডকে লুকিয়ে রুমে ঢুকিয়ে চোদাচ্ছে? আর থাকতে না পেরে আমি আস্তে করে দরজাটা খুললাম। অত্যন্ত আনন্দের সাথে আবিস্কার করলাম আমার বোন মাগি চোদার উত্তেজনায় দরজা বন্ধ করতেই ভুলে গেছে। আমি খুব ধীরে ধীরে দরজাটা ফাক করে ভেতরে উকি মারলাম। যা দেখলাম তাতে আমার চোখ খুলে বেড়িয়ে পরার জোগাড় হলো। আমার ১৬ বছরের যুবতি বোন নায়লা তার কচি ভোদা যে বাড়াটা দিয়ে মারাচ্ছে সেটা ওর কোন বয়ফ্রেন্ড না আমাদের বাড়ির ৫০ বছর বয়সের এক কাজের লোক গোপি কাকার। "Fuck me, Gopi kaka Fuck me” আমার বোন চেচিয়ে উঠলো। “Fuck your big dick into my teeney weeny cookie and make me cum! Ohhh, maaa!" গোপি কাকা নায়লাকে তার নিজের বিছানায় চিৎ করে ফেলে ফরসা নরম তুলতুলে সেক্সি শরীরটার উপর উপুড় হয়ে শুয়ে নায়লার টাইট কচি ভোদায় মোটা কালো বিরাট বাড়াটা চেপে গুদ ফাক করে আমার মায়ের পেটের বোনকে চুদে যাচ্ছে। প্রাথমিক শক সামলে নিতেই চোখের সামনে আমার বোন মাগির এমন রগরগে চোদনলীলা দেখে সেকেন্ডের মধ্যে আমার ধন খাড়া হয়ে গেল। গোপি কাকা তার কালো মোটা অজগর সাপটা নায়লার ফর্সা কচি ভোদা একদম শেষ সীমা পর্যন্ত টানটান করে ঠাপিয়ে নায়লার গুদ ফাটাচ্ছিল। আর এই না দেখে আমিও হাফ প্যান্ট থেকে আমার বাড়া বের করে খেচতে শুরু করলাম। উল্টো দিকে মাথা মানে আমার দিকে পাছা দিয়ে চোদার কারনে ওদের চেহারা দেখতে পাচ্ছিলাম না তবে সবচেয়ে ভালো কথা হলো আমার একদম নাকের ডগায় ওদের চোদনলীলা দেখছি। নায়লার কচি গুদটা এত কাছ থেকে আগে কখনো দেখি নি। এখনো গুদে ভালো করে বাল গজায়নি আর এই বয়সেই আমার বোন খানকি বাপের বয়সি বুড়ো চাকর বেটাকে দিয়ে গুদ মারাতে শিখে গেছে। নায়লার টাইট বালহিন কচি গুদ ভেদ করে গোপি কাকার লম্বা মোটা বাড়াটা হাই স্পীডে ঢুকছে আর বের হচ্ছে। তারপর আবার ঢুকে যাচ্ছে। “Fuck! Fuck me!” গোপি কাকার নিচে শুয়ে থেকে নায়লা শিৎকার দিতে থাকে “Ram that big fat laorha all the way to teeny cookie!” ঠাপের তালে তালে বুড়োর বল দুইটা নায়লার বালহিন ফর্সা টাইট পাছায় জোড়ে শব্দ করে বাড়ি খাচ্ছে। আর তাতে সাড়া ঘর জুড়ে চোদাচুদির শব্দ ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। THWAP! THWAP! THWAP! THWAP! THWAP! THWAP! THWAP! THWAP! “Kaka kaka! Fuck! Fuck!” ঠিক ১০ সেকেন্ড পর গোপি কাকা এক প্রকান্ড শক্তিশালি ঠাপ মেরে তার পুরো বাড়াটা নায়লার গুদের জড়ায়ু পর্যন্ত ভরে দিল তারপর কাকার মোটা কালো পাছার ঝাকুনি দেখে বুঝলাম গোপি কাকা আমার অবিবাহিত ছোট্ট বোনের কচি গুদ ভর্তি করে তার ফেদা ঢালছে। ওয়াও!! গোপি কাকার গাঢ় ফেদা গুদে পড়তেই নায়লার আনন্দ আর ধরেনা, “গোপি কাকা” You’re shooting your baby- making cream into my pussy!” “My pussy! My pussy! Your hot load of goopy stuff is slushing into my pussy!” দুজনেই রস খসানোর পর গোপি কাকা আর নায়লা চোদাচুদি শেষে জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকে হাফাতে হাফাতে বিশ্রাম নেয়। এদিকে আমার মেজাজটা টং হয়ে উঠে। আমার নাকের ডগায় গোপি কাকা আমার আপন বোনের কচি গুদ চুদে ফাক করে ওর ভোদায় ফেদা ঢেলে নায়লাকে পোয়াতি বানিয়ে দিল আর আমি কিনা তাদের চোদাচুদি দেখে উত্তেজনায় নায়লার দরজায় মাল ঢালছি। রাগের চোটে মনে হলো আম্মুকে ডেকে এসে দেখায় ওর বুড়ো চাকর ওর কচি মেয়ের গুদ মেরে পেট বাধিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কাকে বিচার দেবো, গোপি কাকাতো আমার দুধবতি আম্মুকেও প্রায় সময় চোদে। আমি নিজের চোখে দেখছি, রান্নাঘরে ছোট্ট টেবিলের উপর আম্মুকে অর্ধেক মোড়া করে উপুড় করে পেটিকোট কোমড়ে তুলে পেছন দাড়িয়ে doggy style এ আম্মুর ফর্সা ছড়ানো ধামসি পাছা ফাঁক করে কালো মোটা বাড়াটা ঢুকিয়ে আম্মুর টাইট ব্রাউন কালারের পুটকি মারছে। টেবিলের কিনারা থেকে আম্মুর মোমের মতো ফর্সা তুলতুলে থাই ঝুলতেছে আর গোপি কাকা আম্মুর নাদুস নুদুস কোমড় চেপে ধরে আম্মু জাহানারার পোঁদ চুদছে। ঠাপের তালে তালে আম্মুর চর্বিভরা পাছার মাংসগুলো থলর থলর করে নাচচে। আর গোপি কাকার বড় বড় অন্ডকোশগুলো আম্মুর বালহিন ভোদার উপর থপাস থপাস করে বাড়ি খাচ্ছে। এভাবে ২০ মিনিট ধরে রান্নাঘরে আমাদের বাসার চাকর গোপি কাকা রাস্তার খানকি মাগির মতো আমার সেক্সি আম্মুর পুটকির টাইট ফুটোতে ঠাপাতে ঠাপাতে ঢিলা করে দিতে থাকে। তারপর হঠাৎ করে একটা বিরাট রাম ঠাপ মেরে গোপি কাকা আম্মুর পুটকির ভিতর মোটা কালো বাড়াটা সম্পূর্ণ ঢুকিয়ে দিয়ে কোমড় ঝাপটে ধরে আম্মুর পুটকির মধ্যে বীর্যপাত করতে থাকে। ঘন থক থকে ফেদা ঢেলে আম্মুর ভারি পাছা আরো ভারি করে দেয়। আমার পরিবারের সব মাগিদের বুদ্ধি মনে হয় তাদের দুধ আর ভোদার মধ্যে। না হলে আমার মতো বড় মোটা ধনের ছেলে থাকতে আম্মু বা নায়লার কি দরকার পরেছে যে চাকরকে দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে গুদ আর পোদ মারানো। আমি না হয় একটু ভদ্র টাইপের ছেলে, সারাদিন বই পত্র নিয়ে থাকি কিন্তু তাই বলে কি আম্মুর জাম্বু পাছা আর বোনের খাড়া খাড়া মাই দেখে কি আমার বাড়া খাড়া হয় না? বস্তুত, একবার শুধু বললেই তো আমি প্রতিদিন আম্মু আর নায়লার ভোদা আর পুটকি ভালো করে চুদে ওদেরকে আরাম দিতে পারতাম। তার বদলে কিনা আমি খেচে খেচে মা বোনের দরজায় মাল ঢালছি। আর ঘরের বুড়ো চাকর আমার সুন্দরি সেক্সি আম্মু আর কচি বোনকে নিয়মিত চুদে যাচ্ছে। মনে মনে ঠিক করলাম যেভাবেই হোক মা ও বোনকে এক সাথে এক বিছানায় ফেলে চুদবো। অপেক্ষা করতে লাগলাম সময়ের, বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি আমাকে প্রথমেই সুযোগ পেয়ে গেলাম আমার সেক্সি রূপবতি আম্মুকে চোদার। সেদিন আমি হঠাৎ করে কি জানি একটা জিনিস খোজার উদ্দেশ্যে আম্মুর রুমের দিকে গেলাম, যখন আমি আম্মুর রুমের খুব কাছাকাছি তখন আমি উপলব্দি করলাম আম্মুর রুম থেকে গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে উফফফ আহহহহ আহহহহহ। আমি আস্তে আস্তে দরজার ফাক দিয়ে উকি মেরে দেখি আম্মু তার গুদে আঙ্গুলি করে শিৎকার করছে। আমি মনে মনে বললাম এই সুযোগ দেরি না করে আম্মু আম্মু বলে দরজা ঠেলে ঢুকে পরলাম ভেতরে। ঢুকেই অবাক হওয়ার অভিনয় করলাম। আম্মুতো আমাকে দেখে কি করবে ভেবে না পেয়ে তাড়াতাড়ি গুদ থেকে আঙ্গুল বের করে কাপড় দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি সেই সুযোগ না দিয়ে আম্মুকে বললাম, আম্মু তোমার গুদটা খুব সুন্দর। আম্মু বলল তুই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলি বুঝি? আমি হ্যাঁ সুচক জবাব দিলাম। তারপর আমি আম্মুকে বললাম তুমি যে রোজ আমাদের কাজের লোককে দিয়ে চোদাও আমি তাও জানি, তুমি যদি আমাকে করতে না দাও তাহলে আমি আব্বুকে সব বলে দিব। আম্মু বলল: তুই আমার ছেলে, তোর সাথে এইসব করলে অনেক পাপ হবে। কিন্তু আমি নাছোড় বান্দা আমি বললাম: পান পুন্য বুঝিনা তুমি যদি আমাকে চুদতে না দাও তাহলে আমি সত্যি সত্যি আব্বুকে বলে দিব। আম্মু আমার কাছে এসে হাত ধরে বলল তোকে দিলেতো আর কাউকে বলবি না? আমি বললাম কাউকে বলবো না, এই বলে আমি আম্মুর কাছে গিয়ে আম্মুর টস টসে দুই ঠোটে চুমু খেলাম আর হাত দিয়ে আম্মুর বিশাল বড় দুধ দুইটা টিপতে লাগলাম। আমি বললাম আম্মু তোমার কাপড়গুলো খুলে ফেল। আম্মু বলল, তুই চুদতে চাস তুই-ই খোল। আমি এক এক করে আম্মুর সব কাপড় খুলে ফেললাম। এখন আমার জন্মদাত্রি মা আমার সামনে সম্পূর্ণ উলঙ্গ। আমি দুচোখ ভরে মার রূপ আর শারীরিক সৌন্দর্য ভোগ করতে লাগলাম। আম্মুর দুধগুলো গোল গোল অনেক বড়। মোটা পেট গভীর নাভি, আর বালহিন ফর্সা গুদ দেখে আমার ধন বাবাজি লাফাতে শুরু করল। আমি আম্মুর একটা দুধ চুষতে লাগলাম আর অন্যটা জোড়ে জোড়ে টিপতে লাগলাম। আম্মু আরামে উহহহহ আহহহহ বলে শিৎকার করতে লাগলো। আমি আম্মুর দুধ চুষছি আর টিপছি পরে আস্তে আস্তে চুমু দিতে দিতে নাভির নিচে আম্মুর ভরাট ভোদার কাছে গিয়ে আমার জিহ্ব দিয়ে আম্মুর বালহিন ফর্সা গুদটা চুষতে লাগলাম আর আম্মুতো উত্তেজনায় আরো জোড়ে আরো ভালো করে চুষে তোর আম্মুর সব রস খেয়ে ফেল বলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি জিহ্বটা কখনো আম্মুর গুদের চারপাশে আবার কখনো গুদের ভিতর চালাতে লাগলাম। সে এক অসাধারণ অনুভূতি। আম্মু বলল, তুই এ রকম চোদনবাজ হলি কি করে? আমি বললাম, রোজ তোমাদের চোদাচুদি দেখতাম আর আমি অনেক আগে থেকে থ্রীএক্স ছবি ও বাংলা চটি বই পড়তাম। আম্মু বলল, তাইতো বলি লুকিয়ে লুকিয়ে আম্মুর চোদাচুদি দেখেতো তোর ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আম্মু বলল, আমি আর থাকতে পারছি না তাড়াতাড়ি তোর বাড়াটা ঢুকা। আমি ঠিক আছে বলে আমার ৮” ইঞ্চি বাড়াটা বের করে আম্মুর দিকে তাক করে বললাম আম্মু আমার বাড়াটা একটু চুষে দাও আগে। আম্মু বলল ঠিক আছে তুই বিছানায় শুয়ে পর। আমি বিছানায় শুয়ে পরার পর আম্মু আমার বাড়াটা মুখে পুড়ে চোষা শুরু করলো। আম্মু বলল, বাড়াটাতো দারুন বড় বানিয়েছিস। আমি আম্মুকে বললাম, শুধুমাত্র তোমাদের চোদার জন্য এবার দাওতো ভালো করে তোমার ছেলের বাড়াটা চুষে। অনেকক্ষন চোষার পর আম্মু বলল, তুই এভাবে শুয়ে থাক আমি উপর থেকে ঢুকাচ্ছি। আমি বললাম ঠিক আছে। আম্মু তার ভোদাটা আমার বাড়ার উপর রেখে আস্তে আস্তে বসছে আর আমার বাড়াটা আম্মুর ভোদার ভিতর অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আম্মু বলল তোর এটা যা বড় আর মোটা আমার গুদের ভিতর ফিট হয়ে ঢুকছে আমার মনে হচ্ছে গরম কোন লোহার রড ঢুকছে আমার গুদের ভিতর। আমি বললাম দেখতে হবে না ছেলেটা কার। চোদনবাজ মায়ের চোদনবাজ ছেলে বলে দুজনেই হেসে উঠলাম। কিছুক্ষনপর আম্মু পুরা আমার বাড়ার উপর বসে পরলো আমার বাড়াটা আম্মুর গুদের ভিতর পুরা ঢুকে গেল। কি যে ভালো লাগছিল তখন বলে বোঝানো যাবে না। আম্মুর গুদের ভিতরটা অনেক গরম। এরপর আম্মু আস্তে আস্তে উপরে উঠছে আবার বসে যাচ্ছে এভাবে করার ফলে এক দারুন শব্দ হচ্ছে পচচচ পচচচচ পচচচচচাত … … পচচচ পচচচচ পচচচচচাত। আমিও সমান তালে নিচ থেকে তলঠাপ দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে অনেকক্ষন চোদার পর আমি আম্মুকে বললাম এবার তুমি নিচে চিৎ হয়ে শুয়ে পড় আমি চুদবো তোমাকে। আম্মু বাধ্য মেয়ের মতো ঠিক সেভাবেই পজিশন নিল। এবার আমি আম্মুর গুদের মুখে আমার বাড়াটা সেট করে জোড়ে একটা রাম ঠাপ দিয়ে পুরাটা আম্মুর রসালো গুদে ঢুকিয়ে দিলাম। আম্মু মাগোওওওও বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। আমি সেদিকে নজর না দিয়ে জোড়ে জোড়ে ঠাপ মারতে শুরু করলাম। প্রতিটা ঠাপের সাথে সাথে আম্মু আহহহহহ আহহহহ মাগোওওও উহহহহ ইসসসস করে শিৎকার করতে লাগলো। আর সেই সাথে আম্মুর দুধগুলোও লাফাচ্ছিল। আম্মু বলছে চোদ ভালো করে চোদ, তোর আম্মুর ভোদা ফাটিয়ে দে রে হারামজাদা মা চোদা ছেলে। আমি আম্মুর মুখে এ রকম ভাষা শুনে আরো উত্তেজিত হয়ে জোড়ে জোড়ে ঠাপাতে থাকি আর বলছি খা মাগি আজ তোর ছেলের বাড়ার চোদন খা, তোকে চুদতে চুদতে আজ আমি তোর গুদ ফাটিয়ে রক্ত বের করবো। এভাবে আরো কিছুক্ষন চোদার পর আমি বুঝতে পারলাম আম্মু জল খসাবে কারন আম্মু বার বার আমার বাড়াটা গুদ দিয়ে কামড় দিচ্ছিলো। আমি আম্মুকে বললাম, উঠে ডগি স্টাইলে উপুড় হয়ে থাকতে আমি তোমাকে পিছন থেকে কুকুর চোদা চুদবো। আম্মু উপুর হয়ে বসার পর আমি আম্মুর বিশাল পাছা ধরে পিছন থেকে গুদে বাড়াটা সেট করে ঢুকিয়ে দিলাম তারপর শুরু করলাম ঠাপানি। সে এক দারুন অনুভূতি। অনেক্ষন চোদার পর আম্মু বলল আমার হয়ে এলরে জোড়ে জোড়ে চোদ আহহহহ আহহহহ উহহহহহ উহহহ কি মজা দিচ্ছিস রে সোনা আমি যে আর পারছি না বলে হড়ড়ড়ড় হড়ড়ড়ড় করে আম্মু তার গুদের জল খসিয়ে দিল। আম্মুর গরম গরম গুদের রসে ভিজে গেল আমার বাড়াটা আমি তখনো আম্মুকে চুদে চলছি। আর ঠাপের তালে তালে তখন পকাত পকাত পকাত আওয়াজ হতে লাগলো। এক পর্যায়ে আমিও বুঝতে পারলাম আমার মাল আউট হবে এ কারনে আমি ঠাপানোর গতি বাড়িয়ে দিলাম। ঠাপাতে ঠাপাতে বললাম নে মাগি নে এবার তোর ছেলের মাল নিয়ে গর্ভবতি হ বলে চিড়িক চিড়িক করে সব মাল আম্মুর গুদের ভিতর ঢেলে দিলাম। তারপর আমি ও আম্মু দুই জনেই বিছানায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম। এভাবে ঐ রাতে আরো ৩বার আম্মুকে চুদে আম্মুর গুদের ভিতর আমার বীর্য ঢাললাম। আম্মুও আমার চোদনে তৃপ্ত হয়ে আমাকে তার বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। এদিকে চিন্তা করতে লাগলাম ছোট বোনটাকে কিভাবে চোদা যায়। আম্মুকে বললাম, তোমার মেয়েও যে কাজের লোকের কাছ থেকে চোদা খায় সেটা তুমি জানো? আম্মু বলল, না তো। আমি বললাম আমি তাকে অনেকদিন দেখছি গোপি কাকার সাথে চোদাচুদি করতে। আম্মু বলল, তুই কি তাকেও চুদতে চাস নাকি? আমি বললাম, এ রকম সেক্সি একটা বোন থাকলে কার না চুদতে ইচ্ছে করবে। আম্মু বলল, ঠিক আছে আমি তাকে ডেকে রাজি করাচ্ছি। এই বলে আম্মু আমার ছোট বোন নায়লাকে ডাকলো। সে আসার পর আম্মু বলল, তুই নাকি তোর গোপি কাকার সাথে কি সব আকাম করিস, সত্যি নাকি? ছোট বোনতো আকাশ থেকে পরার ভান করে লজ্জায় লাল হয়ে গেল। আম্মু বলল, এখানে এতো লজ্জার কি আছে করিস কিনা বললেই তো হয়ে। আমার বোন চুপ হয়ে গেল আম্মু যা বোঝার বুঝে গেল। আম্মু বলল তোর ভাইয়া তোকে চুদতে চায়, তার সাথে করবি? আম্মুর মুখে এ রকম কথা শুনে ছোট বোনটা আনন্দে ও লজ্জায় আরো লাল হয়ে গেল। আম্মু আমাকে ডেকে বলল, ও রাজি আছে যা করার কর ওকে নিয়ে। এ কথা শুনে তো আমি আকাশের চাদ হাতে পেলাম। দেরি না করে আম্মুর সামনেই ছোট বোনকে জড়িয়ে ধরে তার ঠোটে চুমু দিতে লাগলাম আর হাত দিয়ে তার নিটল নরম দুধ দুইটা টিপতে লাগলাম। সেও সমান তালে তাল মিলিয়ে আমাকে চুমু দিচ্ছে আর হাত দিয়ে আমার খাড়া বাড়াটাকে আদর করতে লাগলো। আমি আস্তে আস্তে আম্মুর সামনে তার ছোট কচি মেয়েকে (আমার বোনকে) এক এক করে সব কাপড় খুলে নেংটা করে ফেললাম। আমার ছোট বোনের বয়স কম হলে কি হবে এখনি তার দুধগুলো দারুন বড় আর তার ভোদা আর পাছাটা যে কোন জোয়ান বুড়োকে গরম করে তুলবে। আমি দেরি না করে তার কচি ভোদায় আঙ্গুলি করতে থাকলাম আর দুধগুলো পালাক্রমে চুষতে লাগলাম এ দিকে আমাদের অবস্থা দেখে আম্মুও ঠিক থাকতে না পেরে তার সব কাপড় খুলে ছোট বোনের দুধ টিপতে লাগলো আর নায়লার মুখটা আম্মু তার ভোদায় চেপে ধরলো। এ দিকে আমি চুষছি আমার ছোট বোনের গুদ, ছোট বোন চুষছে আম্মুর গুদ। এভাবে অনেকক্ষন চলার পর আমি ছোট বোনকে তুলে আমার ঠাটানো বাড়াটা তার মুখে ঢুকিয়ে দিলাম, কিছু বলতে হলো না নায়লা সেটা আয়েশ করে চুষতে লাগলো আর আমি আম্মুর ভোদাটা চুষতে লাগলাম একদম থ্রিএক্স মুভির থ্রিসাম এর মতো। অনেকক্ষন এ রকম করে একে অন্যেরটা চুষে দেয়ার পর আমি নায়লাকে বিছানায় ফেলে আমার ৮ইঞ্চি বাড়াটা তার কচি গুদে সেট করে দিলাম এক রাম ঠাপ। নায়লা ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরল। আমিতো অবাক নায়লা আগে গোপি কাছে প্রতি রাতে চোদন খেয়েছে আর গোপি কাকার যা একটা বাড়া ওর গুদটা ঢিলা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু না এত চোদা খাওয়ার পরও তার গুদটা একটুও ঢিলা হয়নি অনেক টাইট। তাই প্রথম ঠাপে আমার বাড়াটা বেশি ঢুকলো না। অর্ধেকটা ঢুকলো। আমি আবার বাড়াটা তার গুদ থেকে বের করে গুদটা আবারও একটু চুষে থুথু দিয়ে ভিজিয়ে দিলাম তারপর জোড়ে একটা ঠাপ মেরে অর্ধেকটা ঢুকিয়ে দিলাম আর জোড়ে জোড়ে ঠাপাতে শুরু। এক সময় আমার ৮ ইঞ্চি বাড়াটা পক পক করে নায়লার গুদে সেট হয়ে নাভি স্পর্শ করল। নায়লাও চরম উত্তেজনায় আহহহহ আহহহহ উহহহহ মাগোওওও বলে শিৎকার করতে লাগলো। শুরু করলাম রাম ঠাপ দেয়। এর মধ্যে নায়লা তার গুদের রস খসালো যার ফলে এখন আমার বাড়াটা ঢুকতে আরো একটু সহজ হয়ে গেল। এ রকম প্রায় ৩০ মিনিট ঠাপানোর পর যখন বুঝলাম আমার মাল বের হবে তখন আম্মুকে বিছানায় শোয়ালাম আম্মু কিছু বলার আগে আমার বাড়াটা আম্মুর গুদে ঢুকিয়ে ঠাপানো শুরু করলাম। আম্মুও এতক্ষন আমাদের চোদাচুদি দেখে দারুনভাবে উত্তেজিত ছিল যার ফরে তার গুদ রসে ভিজে একদম একাকার হয়ে গেছিল। এভাবে আম্মুকেও আরো ৩০মিনিটের মতো ইচ্ছেমতো ঠাপালাম। আম্মু তার গুদের জল আবারও খসাল। যখন আমার বের হবে হবে আমি আম্মুকে বললাম আম্মু আমার মাল কি তোমার ভিতর ঢালবো নাকি তোমার মেয়ের? আম্মু বলল, আমার ভিতর তো আগে ঢেলেছিস এখন এই কচি মাগির গুদে তোর সব মাল ঢেলে মাগিকে পোয়াতি কর। যেই বলা সেই কাজ আমি আমার বোন নায়লাকে উপুড় করে doggy style এ চোদা শুরু করলাম। ১০ মিনিট ঠাপানোর পর আমার এক গ্লাস পরিমান বীর্য আমার বোন নায়লার গুদে ঢেলে দিলাম। আমার বোন ও আম্মু দুজন মিলে আমার বাড়াটা চেটেপুটে পরিস্কার করে দিল। আর আমিও তাদের দুজনের গুদ ভালো করে চেটেপুটে সব রস খেয়ে নিলাম। এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের চোদন খেলা। বুড়ো কাজের লোক গোপি কাকাকে বের করে দেই। এখন আমি গর্ব করি আর সুযোগ পেলেই আম্মু ও আমার ছোট বোন নায়লাকে প্রাণভরে নিজের বিয়ে করা বউয়ের মতো ইচ্ছেমতো চুদি। আম্মু আর নায়লাও আমার চোদা খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকতো read more Older Posts Home Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Follow by Email Subscribe via email Enter your email address: Popular Contact Comments Popular Posts গতকাল রাতে আমার ছোট বোন নায়লাকে হাতে নাতে ধরে ফেলছি। রাত ১টার দিকে পানি খাবার জন্য রান্নাঘরে যাচ্ছিলাম। নায়লার বেডরুমের সামনে দিয়ে যাবার সময় কানে একটা আশ্চর্যজনক শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দট... ছোট বোনকে চোদার কাহিনী… কিরে নিশি গালে হাত দিয়ে বসে আছিস কেন?’ জিনিয়া নিশির পাশে বসতে বসতে বলল। ‘জানি না, ভাল লাগছে না’ নিশি মাথা তুলে বলল। ‘কি জানি ভাই তোর কিছুই... আন্টির প্যান্টি মুন্নি আন্টি আমাদের বাসার তিন তালার ভাড়াটিয়া। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। বিয়ে হয়েছে ১ বছর হবে। প্রথম দিন উনাকে দেখেই শরীর গরম হয়ে গেল। ইংরে... ভাবিকে মন ভরে চুদলাম ঢাকায় একজন অসুস্থ আত্বীয় কে দেখার জন্য বঙ্গোবন্ধু হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সীতাকুন্ড হতে সকাল দশটায় রওয়ানা হয়ে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে পৌ... আগে আমাকে চুদে দে ভাই, তারপর অন্য কথা হবে কান্তা আপু লম্বায় প্রায় ৫'৬" হবে, আর দুধ দুটা বেশ বড় বড় মনে হয় ৩৮ সাইজ হবে। কোমর বেশ পাতলা ২৮ হবে আর পাছা দুটা বেশ ভরাট কম করে... আমার সেক্সি শালী রেনুকে নতুন খেলা শিখানো আমি বিদেশে থাকি। আমার বউ দেশেই থাকে। আমার তেমন ছুটি থাকে না। তাই দেশে খুব কম যাওয়া হয়। আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৫ বছরের মত। কিন্তু আমরা ... মা কে চোদা দিলাম মা হেসে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খেলেন, – ইস আমি যে কেন তোকে আগে চুদলাম না। আমি হেসে বললাম- মাগী। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন তুই আমার মাগ, ভাতার, ... মাকে বিয়ে আমি একটা ছোট ফ্লাটে থামাকে বিয়েকি আমার মাকে নিয়ে। মাকে বিয়ে করে সংসার করছি ২ বছর হলো। ১টা ছেলে সন্তান হয়েছে আমাদের। আমি সেক্সের ব্যাপারে... Contact Form Name Email * Message * Recent Comments Category অন্য রকম অ্যাঁটি খালা চাচী ছোট ভাই পরকীয়া বাবা মেয়ে ভাই বোন ভাবী মা ছেলে মামা’র ভাগ্নি মামী লেসবিয়ান শালী দুলাভাই শাশুড়ি চোদা Hot Downloads of 2013 ! Hot Bangla 3X Video Download ! Hot Hindi 3X Video Download ! Hot Pakistani 3X Video Download ! Hot Prova 3X Video Download ! Hot Akhi Alomgir 3X Video Download ! Labels অন্য রকম অ্যাঁটি খালা চাচী ছোট ভাই পরকীয়া বাবা মেয়ে ভাই বোন ভাবী মা ছেলে মামা’র ভাগ্নি মামী লেসবিয়ান শালী দুলাভাই শাশুড়ি চোদা Designer BloggerSpice.com Copyright 2015 | Bangla Choti | বাংলা চটি | Incest Choti Story |
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 19 Dec, 2015 ফরহাদ মজহারঃ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সমাজের ক্ষমতাসীনদের জন্য আরামের কি-না বলা মুশকিল; তবে তারা তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মতাদর্শিক স্বার্থ উসুল করে নিতে পারছে, এটাই বাস্তবতা। স্বার্থ উসুল করা কথাটা বোঝা আশা করি কঠিন কিছু নয়। তারা ক্ষমতার সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুণ্ঠন ও বিদেশে টাকা পাচার করতে পারছে। বড় কোনো প্রকল্পের জন্য এখন টেন্ডার দিতে হয় না, এর বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আইন করেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকার টেন্ডার ছাড়া যে কাউকেই তাদের ইচ্ছামতো দরদামে কাজ বা ঠিকাদারি দিতে পারে এবং দিচ্ছেও। ক্ষমতাসীন থাকার কারণে অপরাধ করেও ক্ষমতাসীনদের দলভুক্ত লোকজন পার পেয়ে যেতে পারছে। আইন ও অধিকারের কোনো তোয়াক্কা না করে বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুলি, গুম, হত্যা ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে খামোশ করে দিতে পেরেছে তারা। খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে করুণ ও ক্ষমতাসীনদের দয়ার ওপর নির্ভরশীল একটি দলে পরিণত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক কূটতা, ক্রূরতা, ভাষা এবং নিত্য বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রচারের সুফল ক্ষমতাসীনরা পায়নি বলা যাবে না। পেয়েছে। ‘আমরাও মুক্তিযুদ্ধের দল’ কিংবা ‘আমাদের দলে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি’- বিএনপির এ কাতর কৈফিয়তে বিশেষ কোনো কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা এক দঙ্গল অনুগত গণমাধ্যমকে সফলভাবে তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য সক্রিয় রাখতে পারছেন। পঞ্চদশ সংশোধনী করে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম ও বহাল রাখতে পারছেন তিনি। যারা নীতিবিদ্যা বা নীতিবাগীশতা দিয়ে রাজনীতিতে আহা উহু করেন, তারা প্রকাশ্যে দুই-এক বুলি ফোঁসফাঁস করলেও গোপনে অশ্র“মোচন করা ছাড়া শেখ হাসিনা তাদের জন্য করণীয় কিছু রাখেননি। রাজনীতির বিচার নীতিবাগীশ নিন্দা দিয়ে নির্ধারণ করা যায় না। অর্থাৎ শেখ হাসিনা মহা অন্যায় করছেন, তার এভাবে রাজনীতি করা ঠিক হচ্ছে না- এসব কথা বলে লাভ নাই। শুকনা কথায় চিড়া ভিজে না। যারা আমার লেখা নিয়মিত পড়েছেন তারা স্বীকার করবেন, আমি রাজনীতিতে শেখ হাসিনার এ নিষ্ঠুর, নির্মোহ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের সবসময় ‘প্রশংসা’ করেছি। এই অর্থে যে, রাজনীতি যদি ক্ষমতা চর্চা হয়ে থাকে তবে এটাই ক্ষমতার সার্বভৌম চরিত্র। এ চরিত্রের খোলাখুলি দিকটা শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি। এটাই তার সফলতার কারণ। এ সফলতা ইতিহাসে তাকে সম্মানজনক অবস্থানে আসীন করবে কি-না সেটা সন্দেহের। তবে বিশুদ্ধ বল প্রয়োগ এবং প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার ক্ষেত্রে তার একনিষ্ঠতা বিরল। ক্ষমতাসর্বস্ব রাজনীতির এ চরিত্র বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কেউ বুঝেছেন বলে আমার মনে হয় না। এ কথাগুলো দিয়ে শুরু করছি কেন? রাজনীতি বিশেষত একটি জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ বিচারের দিক থেকে নিষ্ঠুর, নির্মোহ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের তর্কটা নৈতিক বা নীতিবাগীশ তর্ক নয়। কিন্তু এই তর্ককে রাজনৈতিক তর্কে পরিণত করার সাধ্য ও সামর্থ্য আমরা অর্জন করিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, একে রাজনৈতিক তর্কে পরিণত করতে পারার অর্থ কী? রাজনৈতিক তর্কে পরিণত করার কথা বলার অর্থ হচ্ছে, একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর অনুমান মাথায় নিয়ে কথা বলা। সেই অনুমানমাফিক কে বা কারা সেই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছাড়া কোনো বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে বিচার-বিবেচনা করার সাধ্য ও সামর্থ্য অর্জন করতে পারা অসম্ভব। কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় আমরা কাদের কথা মাথায় রেখে কথা বলছি, সেই দিকটাকে বারবার পর্যালোচনা করতে পারা চাই। যদি বাংলাদেশের জনগণকে আমরা আমাদের চিন্তায় রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে ভাবি, তাহলে এটাও অনুমান করতে হবে, এখানে নানান দলের, নানান বিশ্বাসের, নানান মতের বা আদর্শের মানুষ অন্তর্গত। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ-সংঘাত আছে। জনগোষ্ঠী হিসেবে বাংলাভাষী বা বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু এ দেশে আরও অনেক ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের মধ্যে তাদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেখানে তারা একই রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আর ঠিক সে কারণে তারা একই রাষ্ট্রের নাগরিক এবং তাদের প্রত্যেকেরই নাগরিক ও মানবিক অধিকার মেনে নিয়েই রাজনীতির আলোচনা করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির প্রতি আপত্তি তাদের নিষ্ঠুর, নির্মোহ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য নয়। তারা যে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর অনুমান মাথায় রেখে তাদের ক্ষমতা চর্চা করে, সেখানে দেশকে তারা মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করে। এক পক্ষ তাদের সমর্থক কিংবা তাদের বিশ্বাস ও মতাদর্শের অনুসারী। এর বাইরের কাউকেই তারা বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করে না। কথায় কথায় তাদের তারা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। যারা তাদের বিরোধী, তাদের তারা বিএনপি-জামায়াত মনে করে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি কিংবা আওয়ামী লীগের যে কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মতাদর্শ ও রাজনীতির সমালোচনা করার অধিকার আওয়ামী লীগের অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা যে ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে তা হচ্ছে, এদেশে তারা ছাড়া সমাজের প্রায় বাকি অর্ধেক মানুষেরই থাকার কোনো অধিকার নাই। তারা প্রতিপক্ষের কথা বলা ও সভা-সমিতি করা, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ইত্যাদি কিছুই বরদাশত করতে রাজি নয়। প্রতিপক্ষকে তারা নির্মূল করতে চায়। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে তাদের অনুমান সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট একটা ধারণা করতে পারি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মহাবিপদের জায়গা। বিপদ হচ্ছে, রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর এই বিভক্তি এবং নিষ্ঠুর ও নির্মোহভাবে সেই বিভক্তির চর্চা বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে চরম অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্ষমতাসীনরা তাদের দ্বারা বিভক্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করছে না। তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে নিখাদ বল প্রয়োগ ও বাইরের শক্তির ওপর। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে যেসব রাষ্ট্র ও শক্তির সঙ্গে তাদের আঁতাত করতে হচ্ছে, তা বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূল নয়। বাংলাদেশের চরম বিপদ এখানেই। দুই এই বাস্তবতার মধ্যেই পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। রাজনীতির গোড়ার প্রশ্নের মীমাংসা না করে স্রেফ নির্বাচন বাংলাদেশকে বর্তমান বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে কি-না সন্দেহ। বর্তমান বিপদ থেকে উদ্ধার দূরে থাকুক, বরং বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে কি-না সেটাই বরং এখন চরম উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের দিক থেকে পৌরসভা নির্বাচন ক্ষমতা চর্চা ও ক্ষমতা বহাল রাখার একটা কৌশল মাত্র। এর পরিণতি হচ্ছে রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও বিস্তৃত ও গভীর করা। একটি দৈনিক পৌরসভা নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ৮৯ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের রয়েছে ৩৩ আর বিএনপির ৫৬। আওয়ামী লীগের ২১৩ প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী হচ্ছে ১৪০ (৬৬ শতাংশ)। আর বিএনপির ২০৫ প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী ১২৯ (৬৩ শতাংশ)। এই ছোট্ট পরিসংখ্যান প্রথাগত রাজনীতির চরিত্র আমাদের উন্মোচন করে দেখায়। রাজনীতিতে ধনী ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বেড়েছে। টাকা ছাড়া কারও পক্ষে নির্বাচনী টিকিট পাওয়া রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার। রাজনীতি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া আর কিছু নয়। একদিকে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ক্ষমতা আমাদের নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করে নিচ্ছে, অন্যদিকে বিনিয়োগের জায়গা হওয়ার কারণে রাজনীতি ব্যবসায়ীদের লুটতরাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ফলে যারা নানাভাবে দাবি করেন নির্বাচন বাংলাদেশের পরিস্থিতির ক্ষয় ঠেকাতে পারবে, কিংবা নিদেনপক্ষে গণতান্ত্রিক অধিকার কিছুটা ফিরিয়ে দেবে, তারা খামাখা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। এই দিকটি বুঝতে পারলে আমরা বুঝব কেন রাজনীতিকে অর্থবহ করে তোলা এবং সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক আদর্শ ও কর্মসূচি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব থেকে বিএনপি বারবার শুধু নির্বাচনের কথা বলে। কারণ বিএনপির কাছেও রাজনীতি একান্তই একটি ব্যবসায়িক বিনিয়োগের অধিক কিছু নয়। পৌরসভার রাজনীতির পর্যায়ে বিএনপির কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা এ কারণে আমাকে অবাক করেনি। এ লেখা আমি পাবনার একটি গ্রামে বসে লিখছি। কাল গ্রামে দেখেছি পৌরসভার কোটিপতির সংখ্যা সাধারণ মানুষকে বিচলিত করলেও তারা অবাক হয়নি। নির্বাচনের একটি অর্থনৈতিক দিক আছে, যার সুবিধা গরিব মানুষ কিছুটা ভোগ করে। তারা জানে, নির্বাচন কিংবা ক্ষমতার বর্তমান দ্বন্দ্ব তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে যে অর্থ খরচ করে তার কিছুটা চুইয়ে তাদের হাতেও আসে। আর এটাই তাদের নগদ লাভ। রাজনীতি কোটিপতি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র মাত্র, এই উপলব্ধি শহর ও গ্রাম উভয় জায়গাতেই বাড়ছে। এর অর্থ হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নির্বাচন বাংলাদেশের গোড়ার রাজনৈতিক প্রশ্নের মীমাংসা নয়। রাজনীতির গোড়ার প্রশ্ন উপেক্ষা করে বিএনপি কিংবা ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনবাদিতার প্রতি সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক আগ্রহ কমছে। ক্ষমতাসীনদের বিপরীতে এদের তারা রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে মনে করছে এটা ভাবার কোনো কারণ ঘটেনি। গ্রামে গ্রামে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে এটা টের পাচ্ছি। বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন তাদের প্রতি সমবেদনা বাড়াতে পারে; কিন্তু তার চরিত্র রাজনৈতিক নয়। নির্বাচনবাদী রাজনৈতিক দলগুলো দেশের রাজনৈতিক সংকটের মীমাংসা করতে পারবে না, এটাই সাধারণ উপলব্ধি। এই উপলব্ধি বাড়ছে। এর মানে জনগণ নির্বাচনবিরোধী তাও নয়। এটা শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। তার পুরোপুরি সুযোগ ক্ষমতাসীনরা নিচ্ছেও বটে। শেখ হাসিনা মেয়র নির্বাচন যেভাবে করেছেন, পৌরসভার নির্বাচনও তেমন করেই করবেন। ফলে তার দলের প্রার্থীদের তিনি জিতিয়ে আনবেন। এতে জনগণের বিশেষ কিছুই আসবে যাবে না। এটাই হওয়ার কথা। এটাই হবে। আগামী দিনে রাজনীতিতে তাদেরই উত্থান ঘটবে যারা রাজনীতিই করতে আসবে। রাজনীতি তাদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হবে না এবং নির্বাচন দিয়ে তারা গণতন্ত্রের সংজ্ঞাও নিরূপণ করবে না। ভাবার কোনো কারণ নাই যে, সমাজে নতুন রাজনৈতিক ধারা নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো অক্ষম হলেও সাধারণ মানুষ অক্ষম। বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এটা গড়া-ভাঙার কাল। নির্বাচনবাদী বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে গিয়ে শেখ হাসিনা নতুন সম্ভাবনার প্রক্রিয়াকেই বরং নিজের অজান্তে দ্রুততর করছেন। কিন্তু সে কাজ করতে গিয়ে যেখানে তিনি নেমে যাচ্ছেন, সেখান থেকে তিনি উঠে আসতে পারবেন কি-না কে জানে! সৌজন্যে যুগান্তর প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 11 Feb, 2016 ঘটনার দিন কী বার ছিল এবং তারিখই বা কী ছিল তা আজ আর মনে নেই। তবে সেই কুলক্ষুনে ঘটনার স্মৃতি ভুলবার নয়। আমি তখন বর্তমানের তুলনায় অনেক সচ্ছল এবং ব্যস্ত একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন অদ্ভুত এবং অভিনব এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত সচল রাজনীতির মাঠে আমি ফরিদপুর জেলার একটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। মনোনয়নপ্রাপ্তি এবং নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যা যা দরকার ছিল তা আমি অতি নিষ্ঠার সাথে করে আসছিলাম ২০০১ সালের পর থেকেই। দলের প্রতি মমত্ববোধ এবং রাজনৈতিক মনমানসিকতার কারণে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সহমর্মিতা ছিল। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যাওয়া, সন্ধ্যার পর নেত্রীর কার্যালয়ে হাজিরা দেয়া এবং দুপুরে সমমনা নেতাকর্মীদের সাথে একত্রে খাবার খাওয়া রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু ১/১১র পরের দিন মনে হলো রাজনীতির মাঠে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে- পরিচিত কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৮-১০ দিন পর দু-একজনের সাথে যা-ও দেখা হলো, তারা সবাই নেত্রীকে দোষারোপ করলেন এবং বললেন, জীবনে আর রাজনীতিই করতে চান না- বাকিটা জীবন বউবাচ্চা নিয়ে নিরাপদে কাটাতে চান। ১/১১র প্রথম বছরটি ছিল বাহারি সাসপেন্স, থ্রিল এবং অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ। যত সচ্ছল এবং মুক্তচিন্তার মানুষজন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, আমলা-কামলা এবং রাজনীতিবিদেরা পড়লেন মহাসঙ্কটে। প্রথমে ১০০ চিহ্নিত দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হলো। দ্বিতীয় দফায় আরো ১০০ জনের তালিকা সংযুক্ত করা হলো। হাতেগোনা অল্প কয়েকজন বাদে তালিকার অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে এন্তার অভিযোগ ছিল। লোকজন বলাবলি করছিল, সামরিক আদালতে দুর্নীতিবাজদের বিচার করা উচিত। অনেকে আবার তাদের ক্রসফায়ারে দিয়ে মেরে ফেলার কথাও বলাবলি করতে লাগল। জনসমর্থনের হালনাগাদ দশা দেখে ১/১১র কুশীলবরা আনন্দে নাচানাচি আরম্ভ করলেন। তারা দুদক পুনর্গঠন করলেন আর পুনর্গঠিত দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভীতিকর গান রচনা করে তা নাচন-কুর্দনসহকারে টেলিভিশনগুলোতে প্রচার করতে থাকল। সেনা কর্মকর্তা, এনএসআই, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং দুদক মিলে একটি শক্তিশালী কমিটি বানাল দুর্নীতিবাজদের জিজ্ঞাসাবাদ, তাদের সম্পদের খোঁজখবর করা এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরাট অংশটি পালিয়ে গেল। সামান্যসংখ্যক ধরা পড়ল। রাজনীতির মাঠ ফাঁকাÑ সবাই শুধু ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি জপছে। এ অবস্থায় রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের একটি বিরাট গ্রুপ ১/১১র কুশীলবদের সাহায্য সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এলেন অথবা তাদের এগিয়ে নিয়ে আসা হলো। এ ঘটনা ঘটল মে-জুন মাসের দিকে। কিন্তু তার অনেক আগেই বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই স্বীকারোক্তি দিলেন। যারা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছিলেন, তারা যেকোনো শর্তে তৎকালীন মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের কাছে দেহ-মন মাথাসহ আত্মনিবেদন করতে পাঁচ পায়ে দাঁড়িয়ে গেলেন (মানুষের হাত-পা এবং নাক যখন একত্রে মাটি স্পর্শ করে কারো সামনে অবনত হয়, তখন তাকে পাঁচ পায়ে দাঁড়ানো বলে)। ১/১১র কুশীলবরা এই সুযোগটি পুরোমাত্রায় কাজে লাগালেন। আওয়ামী লীগের অফিসগুলো যারা দখলে নিয়ে নিলেন, তারা নিজেদের সংস্কারবাদী হিসেবে জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিলেন। অন্য দিকে, আওয়ামী সংস্কারবাদীদের তুলনায় বিএনপির সংস্কারবাদীরা দুর্বল ছিলেন। তারা বিএনপি অফিস দখল নিতে পারলেন না। ফলে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের যৌথ মহড়ায় সংস্কারবাদীরা একদিন অল্প কিছুক্ষণের জন্য নয়া পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসটির তালা ভেঙে সেখানে ঢুকলেন এবং সংক্ষিপ্ত টিভি সাক্ষাৎকার দিয়ে কেটে পড়লেন। ১/১১র সময়ে সংঘটিত ঘটনাবলি এবং আমার একটি নির্মম অভিজ্ঞতার কথা হঠাৎ করেই মনে পড়ল ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদকের হাল আমলের করুণ অবস্থা দেখে। সরকারদলীয় জোট এখন যেকোনো মূল্যে তাদের শ্রেণিশত্রু। তাদের চলার পথের বাধা বলে বিবেচিত পথের কাঁটাগুলো এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করার অছিলা খুঁজে বেড়াচ্ছে। সরকারি দল মনে করে. ড. ইউনূস, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের ত্রিভুজীয় প্রচেষ্টা, সমর্থন এবং মদদের কারণে ১/১১ প্রলম্বিত হয়েছিল এবং তাদের নেত্রীকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। আগামী দিনে ত্রিভুজটি যেন পুনরায় কোনো ক্রিয়া-বিক্রিয়া শুরু করতে না পারে এ জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিতে বর্তমান সময়কে বেছে নিয়েছে। সব দিক বিবেচনায় সরকার এখন সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিদেশের যেসব পরাশক্তি বিরূপ ছিল, তারাও কারণে-অকারণে সরকারকে তোষণ করছে। অর্থনীতি তুঙ্গে- সরকারের বিদেশী বন্ধুরা তাদের প্রতি সমর্থন আরো জোরালো করেছে। কাজেই আগামী দিনে ক্ষমতায় আসার পথের কাঁটা এবং পচা শামুকগুলো তারা যথাসময়ে উপড়ে ফেলতে পরিকল্পিত পথেই এগোচ্ছে। ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিচার চেয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাস কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জয়ের কথাবার্তা যে যেভাবেই মূল্যায়ন করুন না কেন, আমি কিন্তু তার কথার মধ্যে সব সময়ই সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার ইঙ্গিত পেয়েছি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বহু আগে তিনি বলেছিলেনÑ আমার কাছে তথ্য আছে যে, আগামীতে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে। তার সেদিনের সেই আগাম তথ্য যে কতটা নির্ভুল ছিল তা দেশবাসী ইতোমধ্যেই টের পেয়েছেন। বর্তমান সরকারে তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। তারেক রহমান কিংবা হাওয়া ভবনসংক্রান্ত বদনামির মতো কোনো কলঙ্ক গত সাত বছরে তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত সরকারে তারেকের যে প্রভাব ও প্রতিপত্তি ছিল তার চেয়ে বর্তমান সরকার এবং সরকারি দলে জয়ের প্রভাব কোনো অংশে কম তো নয়ই; বরং অনেক অনেক বেশি। এ অবস্থায় তার কর্মকুশলতা, মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে যারা প্রশ্ন করতে চান আমি তাদের দলে নেই। মাহফুজ আনাম যদি প্রথম থেকেই সতর্ক হতেন তাহলে তাকে বর্তমানের ফ্যাসাদে পড়তে হতো না। আগামী দিনে তিনি যদি সাহসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা না করেন তবে অনাহূত বহু ঝামেলা তাকে গ্রাস করবে এবং একই কায়দায় প্রথম আলো এবং মতিউর রহমানও ফেঁসে যাবেন। সাংবাদিকতার পেশাগত জীবনে আমার সুযোগ হয়েছিল দু’জনের সাথেই কাজ করার। আমি যখন মাহফুজ আনামকে চিনতাম, তখন তিনি পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক। এস এম আলী সম্পাদক। রিয়াজ সাহেব প্রধান প্রতিবেদক, আমানুল্লাহ কবির বার্তা সম্পাদক, শহীদুজ্জামান খান নগর সম্পাদক এবং খলিলুর রহমান অ্যাসোসিয়েট এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করে রিপোর্টার ও সহ-সম্পাদকদের রোজ প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। অন্য দিকে, মাহফুজ আনাম এবং তৌফিক সাহেব দেখাশোনা করতেন প্রশাসনিক এবং অর্থ ও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়। আমার জানা মতে, মাহফুজ আনাম একজন নিরেট ভদ্রলোক এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভয়ানক লাজুকও বটে। হঠাৎ করে উত্তেজিত হওয়া তার একটি রোগ, যাতে আক্রান্ত হয়ে সেদিন এটিএন নিউজের টকশোতে কথা বলতে গিয়ে তিনি ফেঁসে গেছেন। অথচ তিনি যদি হাসিমুখে বলতেন, বর্তমান সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি ১/১১র সময়ে তিনিসহ আরো অনেক সম্পাদকের কাছে নিয়মিত ধরনা দিতেন, যাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশি বেশি প্রতিবেদন ছাপা না হয়, তাহলে উপস্থাপিকা মুন্নি সাহা হয়তো ঘটনার গভীরে ঢোকার চেষ্টা করতেন না। বাংলাদেশের ১/১১ দেশের বাইরের কেউ ডেকে আনেননি। দেশের কোনো বর্ণ-সম্প্রদায়ও ডেকে আনেনি। দেশের রাজনীতিবিদেরাই ১/১১র জনক-জননী। ১/১১ তে পয়দা হওয়া সন্তানসন্ততিদের তাদের রাজনীতিবিদ জনক-জননীরাই প্রথম স্বাগত জানিয়েছিল এবং সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সর্বতো সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল। জনক-জননীর আগ্রহ উৎসাহ ও উদ্দীপনার কারণে পাড়া-প্রতিবেশীরা নবজাতকের পাশে দাঁড়ায়। সন্তানগুলো যে কুলাঙ্গার ছিল, তা বাবা-মা টের পায় চার-পাঁচ মাস পর আর পাড়া-প্রতিবেশী টের পায় সাত-আট মাস পর। সবাই মিলে যখন কুলাঙ্গার সন্তানকে বাগে আনার চেষ্টা চালায়, তখন অবাধ্য সন্তান শুরু করে তাণ্ডব। সেই তাণ্ডবে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তার চেয়েও বেশি মাত্রায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে একমাত্র মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পরিবার-পরিজন ইচ্ছে করলে ১/১১ নিয়ে বড় কথা বলতে পারেন। বাকিদের অবস্থা কমবেশি একই সমান্তরালে ছিল। ১/১১ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। আমার ব্যবসা-বাণিজ্য, ধনসম্পদ এবং রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কুশীলবরা চেষ্টা করলেও যে কোনো ত্রুটি বের করতে পারবে না, সে ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম। ফলে ওই সময়ের আতঙ্কিত জনপদে সবচেয়ে দামি গাড়িতে চড়ে বুক ফুলিয়ে চলতে আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছিল না। অধিকন্তু অন্য একটি কারণে আমি মনে মনে পুলক অনুভব করছিলাম। আমার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রথম ১০০ জন শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকায় স্থান করে নেন এবং পালিয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করার প্রয়াস চালান। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসে বিভিন্ন কারণে আমার মন খারাপ হতে থাকে। কুশীলবরা টাকার বিনিময়ে অনেকের সাথে দফারফা করছে এবং ব্যবসায়ী ও নিরীহ বিত্তশালীদের ফাঁদে ফেলতে ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর মতো দোসর পয়দা করেছে, এমন খবরে আমি প্রমাদ গুনতে থাকি। অন্য দিকে, নির্বাচনী এলাকার নতুন বিভাজন করার ফলে ফরিদপুর জেলায় একটি সংসদীয় আসন কমে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হলে প্রথমে যে আমার নির্বাচনী আসনটি বিলুপ্ত হবে, সেই খবর শোনার পর মন আরো খারাপ হতে শুরু করল। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ত্রাণকার্য পরিচালনার জন্য চেষ্টা করছিল, কিন্তু অর্থাভাবে পেরে উঠছিল না। দলের তামাম কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমানের বাসা থেকে। সভানেত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর জিল্লুর চাচার সহকারী লিটন এবং খালেদ মাহমুদ চৌধুরী (বর্তমানে এমপি) বেশির ভাগ সময় জিল্লুর রহমান সাহেবের সাথে থাকতেন আর টিভি ক্যামেরাগুলো দলবেঁধে তাকে পাহারা দিত সারাক্ষণ। মহিলাদের মধ্যে ডা: দীপু মনি, নাজমা আকতার, মাহবুব আরা গিনি নিয়মিত সেখানে হাজিরা দিতেন। আমি একদিন জাহাঙ্গীরকে আমার অফিসে ডেকে জিল্লুর চাচাকে ত্রাণকাজ চালানোর জন্য কিছু টাকা দিতে চাইলাম। সে জিজ্ঞাসা করল, কত টাকা দেবেন। আমি বললাম, লাখ পাঁচেক। পরের দিন টাকাসহ জিল্লুর চাচার বাসায় গেলে তিনি মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক (মরহুম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখকে ডেকে সবার সামনে আমার হাত থেকে টাকা নিলেন ত্রাণকাজ চালানোর জন্য। আসার সময় তিনি বললেন, পারলে ছাত্রলীগের ত্রাণে একটু সহযোগিতা করো এবং ওমুক ওমুককে একটু দেখে রেখো। আমি গুলশান থেকে সোজা মধুর ক্যান্টিনে চলে এলাম। ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি নাজমুলসহ শতাধিক নেতাকর্মী আমাকে স্বাগত জানাল। ছাত্রলীগ সভাপতি রিপনকে ফোন করে আমার ধানমন্ডির বাসায় ডেকে আনলাম এবং আরো অনেককে আমার বাসা বা অফিসে নিমন্ত্রণ করলাম। আমার তৎপরতার খবর রটে গেল। আমি এক দিকে ১/১১’র কুশীলবদের টার্গেটে পরিণত হলাম। অন্য দিকে, আওয়ামী লীগের কারাবন্দী নেতারা হররোজ চিরকুটের মাধ্যমে এবং প্রবাসে পলাতকরা টেলিফোন কল করে নানা ফুট ফরমাসে ব্যস্ত রাখতে একটুও কৃপণতা দেখাল না। ঘটনার দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। আমার শরীরটা কয়েক দিন ধরে ভালো যাচ্ছিল না। আমি বারডেমে আমার এক ডাক্তার বন্ধুর রুমে বসে প্রেসারটা চেক করছিলাম। বন্ধুটি প্রেসারযন্ত্র আমার হাতে বেঁধে যখন চেক করছিল, ঠিক তখন মোবাইলে আমার অফিস থেকে ফোন এলো। অপর প্রান্তের কথা শুনে আমার মেজাজ তেত্রিশ ডিগ্রি চরমে পৌঁছাল। ডাক্তার বন্ধু বললেন- কী হলো? এতক্ষণ তো প্রেসার ভালোই ছিল। ফোন আসার পর হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে গেল। কোনো সমস্যা! আমি মুচকি হেসে বললাম, এখন প্রেসার মাপতে হবে না। আমার অফিসে এই মুহূর্তে যৌথ বাহিনী তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে- আমাকে খুঁজছে। আমার কথা শুনে ডাক্তার বন্ধুর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল। তিনি কোনো কথা বলতে পারলেন না। আমার হাত থেকে প্রেসার যন্ত্র খুলে নেয়ার সময় তার হাত দু’টি থরথর করে কলাপাতার মতো কাঁপতে লাগল। আমি টেলিফোন করে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম। তাদের বোঝালাম- আমি পলাতক নই। তারা যদি অফিসে অপেক্ষা করেন তবে আমি এক ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত হবো- নতুবা তারা ইচ্ছে করলে বারডেম থেকেও আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন। অন্য দিকে, তারা যদি চান তবে অবিলম্বে আমি নিজেই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তাদের ক্যাম্পে উপস্থিত হতে পারি। তারা ক্যাম্পের ঠিকানা দিলো এবং আমি দ্রুত সেখানে উপস্থিত হলাম। আমাকে একজন সিনিয়র মেজর সাহেবের সামনে নেয়া হলো। তিনি বেশ গম্ভীর হয়ে আমার ফাইলটির পাতা উল্টাতে থাকলেন। তারপর আমার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগটি উত্থাপন করলেন- ‘সজীব ওয়াজেদ জয় যখন সস্ত্রীক প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন তার সংবর্ধনার যাবতীয় ব্যয় আপনি বহন করেছিলেন। মোট কত টাকা দিয়েছিলেন- কেন দিয়েছিলেন এবং এত টাকা কোথায় পেলেন?’ মেজর সাহেবের কথা শুনে আমি হেসে দিলাম। বললাম, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগমনী সংবর্ধনার ব্যয় বহন করার জন্য আওয়ামী লীগে আমার চেয়েও অনেক অনেক গুণ ধনী অনেকে রয়েছেন। এমন একটি অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য আওয়ামী লীগের নির্ভরতার তালিকায় আমি এখনো স্থান লাভ করতে পারিনি। তাই টাকা পরিশোধের সুযোগ আসেনি। তবে হ্যাঁ! যদি আমার কাছে সেই সুযোগ আসত তবে অবশ্যই আমি সানন্দচিত্তে টাকা পরিশোধ করতাম। আমার কথা শুনে মেজর সাহেবসহ অন্য কর্মকর্তারা হাঁ করে রইলেন...। উৎসঃ নয়া দিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 06 Nov, 2015 বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বিচার চাই না- বাঁচতে চাই Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> মতামত বিচার চাই না- বাঁচতে চাই 06 Nov, 2015 গোলাম মওলা রনি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে প্রতিবাদ এবং ঘৃণা জানানোর এমনতর হৃদয়ছোঁয়া কথামালা কোনো দিন শুনিনি। কোনো নাটক-সিনেমা কিংবা যাত্রাপালাতেও দেখিনি। এমনকি গল্প উপন্যাসেও পড়িনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক তার প্রাণপ্রিয় একমাত্র সন্তান দীপন হত্যাকাণ্ডের বিচার চান না। নিহত সন্তানের শোক মনমস্তিষ্কে ধারণ করে তিনি সাধারণ মানুষজনের মতো হাউমাউ করে কাঁদেননি- কাউকে দায়ী করেননি, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেননি এবং কারো দিকে সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করেননি। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাগুরু বাস্তব অবস্থা মূল্যায়ন করে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মতো আশা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন- ওদের সুমতি হোক। তিনি আরো বলেছেন, দেশের বর্তমান অবস্থাই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। বর্তমান অবস্থা বলতে তিনি বর্তমানের রাজনৈতিক সঙ্কটকে বুঝিয়েছেন। আর রাজনৈতিক সঙ্কট বলতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, প্রতিশোধ গ্রহণের আকাক্সক্ষা এবং একে অপরকে অমানবিকভাবে ছোট করার প্রবৃত্তিকে বোঝাননি। তার বুদ্ধিমত্তা এবং প্রজ্ঞা বর্তমান সঙ্কটের যে কারণ চিহ্নিত করেছে তার সাথে আমি সহমত পোষণ করি। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক মনে করেন পুরো জাতি আজ ধর্মের প্রশ্নে কট্টর অবস্থানে চলে গেছে। একদল ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগান তুলে তাদের প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য অব্যাহত চেষ্টা ও তদবির করে যাচ্ছেন। অপরপক্ষ ধর্মকে আঁকড়ে ধরে দিনকে দিন চরমপন্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। একপক্ষ যত বেশি মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ বলে চিৎকার করছে তত বেশি নিজেরা দুর্বল হচ্ছে এবং প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন তার সারমর্ম হলোÑ রাষ্ট্রে বিচার চাওয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। একটি হত্যাকাণ্ডকে বিচারের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৎ, দক্ষ এবং নির্লোভ কর্মকর্তার নাম কেউ বলতে পারবে না। অন্য দিকে পুরো বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা, আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করার মতো সুন্দর সুন্দর নজির এ দেশে নেই। এ অবস্থায় বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরা কিংবা আহাজারি করা একটি নিষ্ফল এবং ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন শিক্ষিত, জ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান মানুষ হিসেবে তিনি সাধারণ আমজনতার মতো আহাজারি করে নিজের এবং পরিবারের সীমাহীন ক্ষতির ক্ষতকে আরো গভীর, পচনশীল এবং দুর্গন্ধময় করবেন না- এটাই তো স্বাভাবিক। নিহত দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের মতো অধ্যাপক অজয় রায়ও বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে খুবই নামকরা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনিও তার নিহত পুত্র অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যাপারে আশাবাদী নন। উল্টো অভিযোগ করেছেন যে, হত্যাকারীরা তাকেও রেহাই দিচ্ছে না। জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি জীবনের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকবেন আর রাষ্ট্র কেবল ফাঁকা বুলি আওড়াবে এমন দুঃস্বপ্ন নিয়ে জীবনের ঘানি টানা যে কতটা দুঃসহ তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারেন। গত এক বছর আগের কিংবা গত সাত বছর আগের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, ডাকাতি, রাহাজানি, অনিয়ম, দুর্বৃত্তপনা কিংবা জাল-জালিয়াতির একটি বিচারও এ দেশে হয়নি। কিছু লোক এসব অপকর্মকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিল এবং সময় ও সুযোগমতো নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়ে জাতির সামনে অদ্ভুত এবং বিরক্তিকর প্রাণী হিসেবে তাদের বদনখানিকে পরিচিত করে তোলার সৌভাগ্য অর্জন করার সফলতা প্রদর্শন করতে পারছে। নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে উচ্চবাচ্য করা লোকগুলো আজ কোথায়? তাদের সাম্প্রতিক উত্থান, আলো ঝলমলে মসৃণ ত্বক, গাড়ি, বাড়ি, অফিস, পদ-পদবি এবং ঈশান-বিষাণের হুঙ্কারের পেছনে যে ক্ষমতার অমৃত সুধারস যোগমায়া হিসেবে কাজ করেছে তা বোঝার জন্য খুব বেশি পাণ্ডিত্যের দরকার নেই। শেয়ারমার্কেটের লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতির খলনায়কেরা এবং মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসের গডফাদাররা যখন সর্বোচ্চ ক্ষমতাবানদের পাশে বসে মুচকি মুচকি হাসে, দাড়ি খাউজায় এবং মোচে তা দেয় তখন ভুক্তভোগীরা কতটা অপমানিত বোধ করে এবং ক্ষমতার রাজনীতিকে কতটা প্রবল ঘৃণা নিয়ে প্রত্যাখ্যান করে তা বোঝার ক্ষমতা যদি রাষ্ট্রের থাকত তা হলে প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক হয়তো ছেলে হত্যার বিচার চাইতেন। রাষ্ট্রব্যবস্থার বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদ যারা দখল করে আছেন তাদের সবার প্রথম পরিচয় যে তারা ক্ষমতাসীন দলের আস্থাভাজন। গত সাত বছরের এসব পদ ও পদবিতে উঠে আসা লোকজন এত দ্রুত এবং এত অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়েছেন যে, তাদের প্রশাসনিক দক্ষতা, মানসিক বিকাশ, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং সংশ্লিষ্ট পদবির জন্য কাক্সিক্ষত আত্মবিশ্বাস খুবই নি¤œমানের। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়- এরশাদ আমলের একজন উপসচিব কিংবা এসপি পর্যায়ের কর্মকর্তার যে মান, ভারিক্কি এবং দক্ষতা ছিল তা বর্তমানের সচিব পর্যায়ের কতজন কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছে তা খোঁজার জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে। যেসব কর্মকর্তা দলীয় পরিচয়ে উঁচু পদে বসেন তাদের আত্মমর্যাদাবোধ, লোভ এবং স্বার্থপর মানসিকতার কাছে তাদের অন্তর্নিহিত মানবিক গুণাবলি এবং জ্ঞান-গরিমা মারাত্মকভাবে মার খায়। অধিকন্তু এসব লোকজন হলো সরল সোজা গোঁয়াড় গোবিন্দ প্রকৃতির মানুষ। তারা কাউকে উপকার করার ক্ষমতা রাখে না। নির্বুদ্ধিতার কারণে তাদের উপকার করার প্রচেষ্টা প্রায়ই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উঁচু পদে বসা দলীয় লোকজনের বাইরে আরেকটি ধড়িবাজ শ্রেণী রয়েছে। তারা কোনো দল করে না বা করলেও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী বোল পাল্টিয়ে ফেলে। তারা প্রচণ্ড ধূর্ত এবং কুটিল বুদ্ধিশুদ্ধির অধিকারী। এসব লোকজন সব সময় ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ কর্তাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার অসাধারণ প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার দরুন দ্রুত কাক্সিক্ষত জিনিস দখল করে বসে। তাদের অতিরিক্ত দলবাজি এবং ক্ষমতাসীন দেখে অন্য কর্মকর্তারা কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। দলবাজ কর্মকর্তা এবং বোল পাল্টানো ভণ্ড দলবাজদের বাইরে আরেকটি শ্রেণী রয়েছে যারা নিজেরা যেমন প্রচণ্ড দুর্নীতিবাজ তেমনি ম্যানেজ মাস্টার হিসেবে তাদের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা তারা ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিবাজ নেতাদের পেছনে ব্যয় করে। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ভালো থাকে এবং লোভনীয় পদ-পদবি বাগিয়ে বসে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে আমরা যদি দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকাই তবে দেখব যে, দলীয় প্রধানের করুণা, সাহায্য এবং সমর্থন ছাড়া দলের পদ-পদবি পেয়েছেন এমন একজনও নেই। দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, সততা, নিষ্ঠা, তৃণমূলে জনপ্রিয়তা এবং দেশব্যাপী পরিচিতি রয়েছে এমন অনেকেই পদ-পদবি তো দূরের কথা দলীয় অফিসে পা রাখতে পারেন না। ফলে আমাদের রাজনীতিতে রীতিমতো আকাল শুরু হয়েছে। এখানে নীতির দুর্ভিক্ষ চলছে এবং দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়েছে। দলীয় প্রধানের দয়ায় থানা পর্যায়ের তৃতীয় সারির নেতা যেমন জাতীয় বিবেক হিসেবে পুরো জাতিকে সকাল-বিকেল দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তদ্রুপ এমন সব লোকজন মন্ত্রী-এমপি হয়ে প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন যারা শিক্ষাজীবনে সব সময় পেছনের বেঞ্চে বসতেন। প্রতিটি পরীক্ষার আগে যাদের জ্বর আসত এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের রাতে পেটে চিনচিনে বেদনার উদ্ভব হতো। সরকারি চাকরির ক্যাডার সার্ভিস তো দূরের কথা- সাবইন্সপেক্টর পদের লিখিত পরীক্ষা কিংবা ইউডি অর্থাৎ আপার ডিভিশনাল ক্লার্ক পদের ভাইভা পরীক্ষায় পাস করার দুঃসাহস তাদের কোনো কালে ছিল না। এসব লোক যখন ডিসি-এসপিকে চড়-থাপ্পড় মারে- মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব থেকে শুরু করে আরো বড় বড় কর্মকর্তাকে মারধর করে তখন প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক সাহেবের মতো গুণী মানুষ কার কাছে বিচার চাইতে যাবেন! সাত বছর ধরে বাংলাদেশের প্রশাসনযন্ত্রে কেবল অযোগ্যদের জয়জয়কার এবং উল্লাস নৃত্যের দাপট অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমি অন্তত ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবির কথা বলতে পারব সেখানে ছয় বা সাত বছর ধরে একই কর্মকর্তা বসে আছেন কেবল দালালি, অকর্মন্যতা এবং দলবাজিকে অবলম্বন করে। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ওসব পদে কোনো কর্মকর্তা দু-তিন বছরের বেশি চাকরি করতে পারেননি। এর বাইরে কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং অপেশাদারিত্ব রীতিমতো রেকর্ড স্থাপন করলেও তারা কিন্তু ঠিকই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ডিবির ডিসি পদবির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগকারী অকাট্য তথ্য প্রমাণ দাখিল করলেন। পুরো দেশ জানল- জাতি জানল এবং পত্রপত্রিকা ও মিডিয়া মহাদর্পে তা প্রকাশ করল। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি লোমও কেউ ছিঁড়তে পারল না। সে নাকি এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলার এসপি। তিনি সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন এবং সাধারণ মানুষ যাতে বিচার পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করছেন! আরেক পুলিশ কর্মকর্তার নির্বুদ্ধিতা এবং গোয়ার্তুমির বিষয়ে আমার কাছে আক্ষেপ করেছিলেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। হেফাজতের সমাবেশ থেকে মুসল্লিরা যাতে বেরিয়ে যাওয়ার একটি নিরাপদ পথ পেয়ে যায় এই লক্ষ্যে বিজিবি সেদিনের সমাবেশের লোকজনকে তাড়িয়ে সায়েদাবাদ হয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ডেমরার দিকে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা বিজিবির অনুরোধ উপেক্ষা করে উল্টো কাজ করে বসেন। তিনি পলায়নপর মুসল্লিদের ওপর সর্বশক্তি চার্জ করে তাদেরকে বাধ্য করেন পুনরায় ঢাকামুখী হওয়ার জন্য। ফলে স্পর্শকাতর সেই অপারেশনটিতে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা শুরু হয় এবং উভয়পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যায় বহু গুণে। এই ঘটনার পর বিজিবির শীর্ষ কর্তারা বহু দেনদরবার করেও সেই পুলিশ কর্তার টিকিটি স্পর্শ করতে পারেননি। নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনার পর আরো অনেকের সাথে সেই কর্মকর্তাও বদলি হয়ে আসেন। তবে এবার তার জায়গা হয় আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি অফিসের বড়কর্তা পদে বসে সেই লোকটি সরকারকে কেমন সব আগাম গোয়েন্দা রিপোর্ট দিতে পারেন তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। দেশের প্রশাসনযন্ত্রের সব স্তরে নৈতিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কোনো সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার, সুশাসন কিংবা সেবার জন্য সরকারি অফিস আদালতে পারতপক্ষে পা বাড়ায় না। সরকারি অফিসগুলো এখন জনগণ পীড়নের চর্চার সেল হিসেবে কাজ করছে। তারা নিরীহ জনগণের কাছ থেকে ইচ্ছেমাফিক সরকারি পাওনা এবং নিজেদের ঘুষ আদায় করবে। প্রভাবশালীদের সাথে শলাপরামর্শ করে সরকারি পাওনা বা কর ফাঁকি দেয়ার রাস্তা বের করে দেবে এবং ক্ষমতাবানদের সেবাদাস হিসেবে তাদের সব অন্যায় আবদার অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বলতে এখন বোঝায় কোন কর্মকর্তা কতটা নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা এবং কূটকৌশলে সরকারের প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে পারল- তার ওপর। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন কায়েম, আইনের শাসনের পথ তৈরির প্রচেষ্টা এখন কাজীর গরুর মতো- অর্থাৎ কেতাবে আছে গোয়ালে নেই। সব মিডিয়াতে সরকার সমর্থকেরা রাতদিন গলা ফাটিয়ে বলছে- দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। জনগণ গণতন্ত্র চায় না- কেবল উন্নয়ন চায় আর এই উন্নয়ন কেবল আওয়ামী ভাবধারা এবং আদর্শের মাধ্যমেই সম্ভব। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা পাঁচ-ছয় বছর ধরে একই বক্তব্য প্রদান করছে। তারা গুলি করে লোকজনকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করছে এবং বন্দুকযুদ্ধ নামের একখানা ছোট কবিতা বারবার পড়ে শোনাচ্ছে। অন্য দিকে দুর্বৃত্তরা যখন কোনো চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে বগল বাজাচ্ছে তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হালকা একটু দাঁত বের করে অভিনব মুচকি হাসি দিয়ে বলছে- আমরা অপরাধীদেরকে গোয়েন্দা জালে আবদ্ধ করে ফেলেছি- ওদের পালানোর পথ নেই। তারপর হালুম! হুলুম তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলছে- এ কাজে ওমুক টিম, তমুক টিমের সংশ্লিষ্টতা এবং এ দল-ও দলের ইঙ্গিত আছে। অতিসম্প্রতি তারা বড়ভাই তথ্য আবিষ্কার করে সারা দুনিয়ার অপরাধ বিশেষজ্ঞকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের বিস্ময়কর তৎপরতা এবং অপরাধী শনাক্ত করার দক্ষতা সরেজমিনে দেখার জন্য বেশ কয়েকবার এফবিআইর ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা, কেজিবি এবং ইন্টারপোলের কর্তারা গোপনে এবং প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সফর করে গেছে। এখন তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে গবেষণাপত্র লেখা শুরু করে দিয়েছে যার শিরোনাম হলো- আইএসআই আছে- আইএসআই নেই। জঙ্গি আছে- জঙ্গি নেই। তালেবান কখনো আলকায়েদা এবং আল কায়েদা কখনো তালেবান! সরকার-সরকারি দল এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের সবাই মিলে দেশবাসীর সামনে এমন এক ভাবমূর্তি হাজির করছে যা দেখে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের মতো গুণীজন বলছেন- বিচার চাই না- শুধু সুমতি চাই। আর সাধারণ মানুষ বলছেন- বিচার লাগবে না- প্লিজ একটু বাঁচতে দিন! নয়াদিগন্ত প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 বেগম জিয়ার স্থগিত লন্ডন ট্যুরের রহস্যকথা 02 Oct, 2016 চাকরি আছে বেতন নাই এমন দেশ কোথাও নাই 26 Aug, 2016 বিএনপি ৪০ সিট নিয়ে বিরোধী দল হবার শর্তে সংসদ নির্বাচন চায় 22 Aug, 2016 রাজনৈতিক বক্তৃতার তোড়ে সত্য অনেক আগেই ভেসে গেছে 04 Aug, 2016 ১/১১-র মতো গুলিয়ে ফেলছেন না তো! 19 Jun, 2016 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনিই জানেন গুপ্তঘাতক কারা ! 29 Mar, 2016 বাংলার ডন কুইক্সোট এবং তার সর্বশেষ বুলেট 20 Mar, 2016 সীমান্তে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করলেও আমরা প্রতিবাদ করি না, তাসকিনদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করব কিভাবে! 19 Mar, 2016 কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছু 18 Mar, 2016 কষ্টের উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা 12 Feb, 2016 বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন 11 Feb, 2016 প্লিজ, বলুন তো ১/১১র সময়ে কয়জন ভয় পাননি? 06 Feb, 2016 ড্যাম কেয়ার ফ্যামিলি ড্যাম কেয়ার রাষ্ট্র 05 Feb, 2016 বাড়ন্ত ইমেজ বনাম ডুবন্ত মানবতা 31 Jan, 2016 ২৭ বাংলাদেশি জঙ্গি, নাকি ভীতি ছড়ানোর কৌশল 30 Jan, 2016 দেশের গণতন্ত্র কি একদলীয় রাজনীতির পথে হাটঁছে? 21 Jan, 2016 তালাকের পর সহবাস 04 Jan, 2016 জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে হোক সামনের পাঁচ নির্বাচন 02 Jan, 2016 যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ! 25 Dec, 2015 দুই মহামানবের জন্মদিনে এ কোন লজ্জা 19 Dec, 2015 হাসিনার নিষ্ঠুরতা নতুন সম্ভাবনাকে দ্রুততর করছে 28 Nov, 2015 বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে পড়ে গিয়েছে 23 Nov, 2015 নির্বাচন : আমরা কি আবার হোঁচট খাবো? 10 Nov, 2015 সংলাপ ছাড়াই সংকট থেকে উত্তরণ, সেটা হবে নির্বুদ্ধিতা 02 Nov, 2015 লেখক-ব্লগার মরলে দেশের অবস্থা ভালো হয়, তাই না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? 01 Nov, 2015 জঙ্গিবাদের মূল হোতা কি সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ? 30 Oct, 2015 ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো কী বলছে? 27 Oct, 2015 ‘পুলিশের গানে’ ‘মিডিয়ার নাচ’ 19 Oct, 2015 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমজনতার বেতন বাড়বে কবে? 18 Oct, 2015 ভারতের হাতছাড়া হচ্ছে নেপাল Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম [email protected] শিক্ষিত বা শিক্ষাহীন বেকার—কোনোটাই নয় 21 July 2014, Monday একটি কাগজের প্রথম পৃষ্ঠার খবর, ‘দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে’। অন্য একটি কাগজের পেছনের পৃষ্ঠার সংবাদ, ‘রাজধানীতে অবাধে ঢুকছে ইয়াবার চালান’। প্রথম খবরটিকে গুরুত্ব দিলেও খুব বেশি জায়গা দেয়নি, কাগজটি এর কলাম কয়েক ইঞ্চিতেই তা শেষ করে দিয়েছে। দ্বিতীয় খবরটি অবশ্য সে তুলনায় একটুখানি দীর্ঘ, তবে তাতে নানান পরিসংখ্যানের পাশাপাশি ইয়াবার চালান কাদের জন্য আসছে, সে সম্বন্ধে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানী মন্তব্য রয়েছে। তাঁর মতে, প্রধানত হতাশাগ্রস্ত তরুণেরাই এই মাদকের শিকার, বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারেরা। খবরের কাগজগুলোর কাছে সংবাদের একটা সংজ্ঞা থাকে, শিরোনাম হওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তি বা ঘটনাকে সেই সংজ্ঞার ভেতরে পড়তে হয়। যত সদ্য হবে সংবাদ, তত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারবে। যত তাৎক্ষণিক হবে এর অভিঘাত, তত তার মূল্য। সেই বিচারে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নয়। এটি গতকালও ঘটেছে, আজকেও ঘটছে, আগামী দিনেও ঘটবে। এটি নতুন কিছু নয়। এই সংবাদ মানুষের মনে আলোড়ন তুলবে না। ইয়াবার প্রবাহ বেড়ে যাওয়াটাও সেই অর্থে নতুন কোনো সংবাদ নয়। যেদিন ওই অদ্ভুত নামের মাদকটি প্রথম ঢুকল আমাদের দেশে, আমি শুনেছি মিয়ানমার থেকে, সেদিন থেকেই এটি পুরোনো সংবাদ। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আমরা সমুদ্রযুদ্ধে জয়ী হয়েছি, এমনটিই ধারণা দিচ্ছে আমাদের সরকার ও মিডিয়া, কিন্তু মিয়ানমার আমাদের নুলো করে দিচ্ছে ইয়াবা দিয়ে। ভারত ফেনসিডিল দিয়ে। এ জন্য অবশ্য এই দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের চেয়ে অনেক বেশি দায় বর্তায় আমাদের দেশের কিছু মানুষের ওপরই। যারা এসব আনছে দেশের ভেতর, বিপণন করছে, তারা বাংলাদেশেরই মানুষ। তাদের অনেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের পিঠে আছে আরও গুরুত্বপূর্ণদের হাত। এই যে অবাধে ইয়াবা ঢুকছে রাজধানীতে, তার পেছনে সক্রিয় একটি বিশাল চক্র। এই চক্রে যারা আছে, তারা প্রতিদিন হাসতে হাসতে দেশি-বিদেশি ব্যাংকে যায়। অথচ এদের লোভের কাছে বলি হচ্ছে অসংখ্য তরুণ। যাদের একটি অংশ শিক্ষিত বেকার। শিক্ষিত বেকার শব্দ দুটিতে একটা কষ্ট ও হাহাকার আছে, গ্লানি ও লজ্জা আছে। সেটি প্রতিমুহূর্ত অনুভব করে যারা বেকার তারা; এবং তাদের আপনজনেরা।আমরা যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পড়িয়ে, পরীক্ষা নিয়ে তাদের হাতে একটা সনদ ধরিয়ে দিয়ে জীবনযুদ্ধে পাঠাই, তারা হয়তো কিছুটা এই কষ্ট, দুঃখ, গ্লানি বুঝতে পারি, কিন্তু আমাদের সাধ্য সীমিত। চাকরির বাজারে তাদের ঠেলে দেওয়ার পর তাদের আর কোনো কাজে আমরা আসি না। আমাদের আরও বড় ব্যর্থতা, যে শিক্ষা পেলে এরা প্রত্যাশামতো চাকরি পেত, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারত, আত্মকর্মসংস্থান করতে পারত, সেই শিক্ষা আমরা দিতে পারছি না। প্রতিবছর আমরা অসংখ্য তরুণকে শিক্ষা শেষের সনদ দিচ্ছি এবং এই সংখ্যায় এখন ঊর্ধ্বগতি, কিন্তু যে মানের শিক্ষা তাদের আমরা দিচ্ছি, তা আন্তর্জাতিক তো দূরের কথা, আঞ্চলিক পর্যায় থেকেও পিছিয়ে আছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাক খাত শুরু করে বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোতে এখন কাজ করছেন এক বিরাটসংখ্যক ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান এক্সিকিউটিভ।বড় বড় বেতন দিয়ে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন এই বিদেশি–নির্ভরতা, যেখানে আমাদের দেশে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিদ্যা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের অভাব নেই? এই প্রশ্নটি আমি করেছিলাম একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে, যিনি নিয়োগ বাজারের ভালো খবর রাখেন। যোগ্যতার অভাব, তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছিলেন।আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে শিক্ষা দেয়, তা সনদমুখী, জীবনমুখী নয়। তিনি বললেন, প্রতিটি পেশায় সর্বোচ্চ সক্ষমতা অর্জনের যে জ্ঞান থাকার কথা, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তা দিতে পারে না। আমাদের স্নাতকদের ভাষাজ্ঞান, বিশেষ করে ইংরেজির ওপর দখল মোটেও পর্যাপ্ত নয়।‘বাজার খুব হৃদয়হীন একটা জায়গা’, তিনি জানালেন, ‘যোগ্যতা না থাকলে বাজার-দর্শনের কাছে আপন ভাইও কল্কে পায় না।’ তাঁর যুক্তি আমাদের মানতেই হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতি, যার চাবুক ছুটিয়ে নিচ্ছে আমাদের বাজারের ঘোড়া, একটা ‘বৈশ্বিক’ মান চাপিয়ে দেয় আমাদের ওপর। যারা সেই মানে পৌঁছে যায়, তারা তার আশীর্বাদ পায়।তবে পাশাপাশি একধরনের ডারউইনীয় অদৃষ্টবাদও এখানে কাজ করে—সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট—সবচেয়ে যোগ্যরাই এখানে টিকে থাকে। অথচ শিক্ষার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মান অর্জনের দিকে না গিয়ে আমরা যে শুধু শিক্ষার পরিমাণ বাড়াতেই ব্যস্ত এবং এ জন্য প্রতিবছর যে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা, এ বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাবি না।আমি তো মনে করি, শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়া একটি জাতীয় লজ্জা এবং এর নিরসনে সব উদ্যোগ নেওয়াটা হওয়া উচিত জাতীয় একটি অগ্রাধিকার।সর্বোচ্চ পর্যায়ের অগ্রাধিকার। কীভাবে এই সমস্যাটির সমাধান করা যায়? প্রশ্নটি আমি এক অর্থনীতিবিদ বন্ধুকে বলেছিলাম।বন্ধু জানালেন, দেশের প্রবৃদ্ধি যদি ৮-৯ শতাংশে পৌঁছানো যায়, যদি কৃষি থেকে নিয়ে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে নিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় কয়েক গুণ, যদি নতুন নতুন প্রবৃদ্ধি ও অভিঘাত ক্ষেত্র (তাঁর ভাষায় গ্রোথ এবং থ্রাস্ট সেক্টর) তৈরি ও সেগুলোর বিকাশ সাধন করা যায়, তাহলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা নূ৵নতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা যায়। আমি অর্থনীতিবিদ নই—এসব কীভাবে সম্ভব তা আমার ধারণায় তেমন স্পষ্ট হয় না। তবে এটুকু বুঝতে পারি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করার জন্য সরকারের যেমন সদিচ্ছা এবং স্পৃহা থাকতে হবে, তেমনি থাকতে হবে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের। অভাবটা এখানেই, যদিও বেসরকারি উদ্যোক্তারা তাঁদের মতো করে সক্রিয়, তাঁদের চিন্তায় থাকে বাজারমন্ত্র। কিন্তু লাভটা শুধু ব্যক্তিগত হলে চলবে না, লাভটা হতে হবে দেশের। তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ৩০০ টাকা বাড়ানোর কথা উঠলেই যেখানে মালিকদের একটা বড় অংশ বেঁকে বসেন, তাতে বেসরকারি খাতের ওপর ভরসা রাখা যায় না। তার পরও অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে আসছেন। একদিন এ ক্ষেত্রেও একটা পরিবর্তন আসতে পারে কে জানে। তবে সত্যিকারের পরিবর্তনটা হতে পারে শিক্ষা দিয়েই। আমরা যদি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে অন্য অনেক কিছুই আপনা থেকে বদলে যাবে। যদি সংস্কৃতির এবং নীতির শিক্ষা পায় কেউ, তার পক্ষে ইয়াবার ব্যবসা করাটা গর্হিত মনে হবে। সেই শিক্ষা যে উদ্যোক্তা পাবেন, তিনি নিজের লাভ কমিয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়াবেন। একসময় আমাদের শিক্ষকেরা এই শিক্ষাই দিতেন, যদিও এর অভিঘাত থাকত সীমিত, যেহেতু শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা ছিল কম, দেশের জনগোষ্ঠীর ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মাত্র সাক্ষরতা ছিল। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের বাজেটের ২৫ শতাংশ এবং জাতীয় উৎপাদনের ৬-৮ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দিয়ে আমরা তা করতে পারি। তারপর ক্রমান্বয়ে এই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রতিটি গ্রামে একটি মানসম্পন্ন প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও তাঁদের সামাজিক মর্যাদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে, তাঁদের ক্রমাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করে। পাঠদান আনন্দময় করে, গ্রন্থাগার-কম্পিউটার সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের এক বেলার আহার দিয়ে, পর্যাপ্ত বৃত্তি দিয়ে, তাদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীলতা বিকাশের পথ নিশ্চিত করে আমরা যাত্রা শুরু করতে পারি। শিক্ষা যে একটি জাতিকে উৎকর্ষের শক্তি জোগাতে পারে, তা তো পৃথিবীর যেকোনো উন্নত দেশের দিকে তাকালেই দেখা যাবে। মালয়েশিয়া অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি পঞ্চাশ-ষাটের দশকে আমাদের থেকে বেশি এগিয়ে ছিল না। অথচ শিক্ষায় বিনিয়োগ করে এখন তারা কোথায় গেছে, আর আমরা কোথায়! এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে, উচ্চশিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠলে দ্রুত তা অস্বীকার করা হয়। অথচ শিক্ষিত বেকার তৈরির পেছনে এ দুই ব্যাধির প্রভাব অনস্বীকার্য। কোনো দেশে শিক্ষিত বেকার থাকতে নেই, শিক্ষাহীন বেকারও। আমাদের দেশটা তো সব সম্ভবের দেশ। নানা অসম্ভব অপকর্মকে আমরা সম্ভব করেছি। এখন সত্যিকার কিছু সুকর্মকে সম্ভব করে বেকারত্ব নিরসন করার প্রতিজ্ঞা নিলে কেমন হয়? সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উৎসঃ প্রথমআলো পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 29 Sep, 2016 তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয় 10 Jul, 2015 সুশীল সমাজের সংজ্ঞা তুলে দিতে হবে 13 Nov, 2014 আপনাকে অভিবাদন, স্যার 06 Nov, 2014 সামনে তো এগোতেই হবে 19 Oct, 2014 গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা হোক 30 Aug, 2014 অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রক 07 Jun, 2014 প্রশ্নপত্র ফাঁস, না শিক্ষার গলায় ফাঁস? 12 May, 2014 সরকারের নারায়ণগঞ্জ পরীক্ষা Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: ডেনিমের জাদু ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার ডেনিমের জাদু ! 02 October 2016, Sunday অনেককাল আগে উত্তর ইতালির কারখানার শ্রমিকরা এক ধরনের মোটা কাপড় পরা শুরু করেন । সেই নীল রঙের কাপড় ছিল বেজায় সস্তা, আরামদায়ক ও টেকসই । পরে জানা যায়, সেটাই নাকি সে আমলের জিন্স । মানে, এখনকার সেলেব থেকে কলেজ পড়ুয়া যার গুণে পঞ্চমুখ, তা নাকি ছিল কর্মীশ্রেণির কম দামি পোশাক । সে যাই হোক, কালের চাকায় ঘুরতে ঘুরতে ডেনিম জাতে উঠেছে । বড়লোক, গরিবলোক সকলের পরনেই এখন ডেনিম । নীলের পাশাপাশি ডেনিমের রংও পালটেছে । কিন্তু চিরন্তন নীলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়নি । ডেনিমের পোশাকের স্টাইল পালটেছে বারবার । এখন ৪০০ টাকার ডেনিম পাওয়া যায়, আবার ১ লাখ টাকারও ডেনিম কিনে লোকে পরেন । ডেনিমকে ঘিরে অসংখ্য ব্র্যান্ড রয়েছে মার্কেটে । প্রতি বছরই ডেনিমকে থিম করে মঞ্চ কাঁপান ডিজ়াইনাররা । আলমারি খুললে গোটা ৫-৬টা ডেনিম বেরিয়ে আসবেই । ক্যাজ়ুয়াল থেকে পার্টি ওয়্যার, সবেতেই আছে ডেনিম । তাই ডেনিমের সাজও হওয়া চাই পারফেক্ট । অ্যাক্সেসরিজ় - ডেনিমের শেডের সঙ্গে মানানসই অ্যাক্সেসরিজ় চাই । রংবেরঙের ভারী পাথর বসানো বা জমকালো কোনও অ্যাক্সেসরিজ় বাছবেন না । ডেনিমের সঙ্গে চাই ম্যাট বা স্টিলের স্লিক অ্যাক্সেসরিজ় । একটু বোল্ড ধরনের গয়না পরলে ভালো, বিশেষ করে জ্যামিতি আকারের গয়না । পরতে পারেন রুপোলি বা রঙিন ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি । ডেনিমের সঙ্গে বেল্টের একটা যোগ আছে । মানিয়ে বেল্ট বাছুন । সেই সঙ্গে পায়ে পরুন স্টিলেটো জুতো । নীল ডেনিমের সঙ্গে লাল স্টিলেটো ও লাল টপ আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে আপনার লুক । ডেনিম প্রিন্ট - এক রঙা ডেনিম না বেছে অন্য কিছু বাছতে পারেন । বাছতে পারেন প্রিন্টেড ডেনিম । এক রঙের ডেনিমের সঙ্গে বেছে নিন প্রিন্টেড ডেনিম টপ । বা তার উলটোটাও করতে পারেন । প্রিন্টের মধ্যে ডেনিমের হাফ জ্যাকেটও বেছে নিতে পারেন । সাজের সঙ্গে দারুণ মানাবে। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: বাড়ছে আয়ু বাড়ছে রোগ, কোথায় যাচ্ছি আমরা? Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার বাড়ছে আয়ু বাড়ছে রোগ, কোথায় যাচ্ছি আমরা? 08 October 2016, Saturday কম্প্রিহেনসিভ ওভারভিউ অব গ্লোবাল হেলথ এর রিপোর্টে বলা হয়, মানুষের আয়ু ১৯৮০ এর সময় থেকে অনেক বদলে গেছে। ২০১৫ সালে পুরুষের গড় জীবনকাল বেড়ে ৬৯ বছর এবং নারীর ৭৫ বছর হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং এইচআইভি বা এইডস এবং টিউবারকুলোসিসের কারণে মৃত্যুসংখ্যা বাড়ার পরও আয়ু বেড়েছে মানুষের। আয়ু বৃদ্ধির কারণে মানুষের মৃত্যু সংখ্যা ২০০৫ সালে ৩.১ মিলিয়ন থেকে ২০১৫ সালে ২.৩ মিলিয়নে নেমে এসেছে। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিস রিপোর্টে বলা হয়, রোগের কারণে মৃত্যুর হার রোধ করা গেছে বিগত দশকে। আর এ কারণেই আয়ুতে কিছু বাড়তি সময় যোগ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ডায়রিয়ায় মৃত্যু কমেছে ২০ শতাংশ। ম্যালারিয়ায় মৃত্যু কমেছে এক-তৃতীয়াংশ, ২০০৫ সালে ১.২ মিলিয়ন থেকে গত বছরে সংখ্যা হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজারে। বিগত যুগেই ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৮৮টি দেশের মানুষের আয়ু বেড়েছে। আবার একই সময়ের মধ্যে ক্যান্সার বা হৃদরোগের মতো সংক্রমক নয় এমন রোগে মৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০০৫ সালে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ২০১৫ সালে বেড়েছে ৩৯ মিলিয়নে। সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে'র প্রধান কেভিন ওয়াটকিন্স বলেন, বেশি বাঁচার কারণে সংক্রমক নয় এমন রোগের ভোগান্তি বাড়ছে। এ কারণে চিকিৎসার খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যান্সার, করোনারি আর্টেরি ডিজিস, লিভার সিরোসিস এবং আলঝেইমার্সের মতো রোগ বয়স বাড়ার সঙ্গে বেশি বেশি দেখা দিচ্ছে। আবার আয়ু বৃদ্ধির কারণে মানুষ রোগ নিয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে। অসুস্থ ও বিকলাঙ্গ অবস্থায় জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। ১০০ পাতার এই রিপোর্ট তৈরিতে অবদান রয়েছে ১৯০০ বিশেষজ্ঞের। এ গবেষণাকর্মে সমন্বয় করে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন। জাতিসংঘের মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ে দুটো পদক্ষেপের সন্ধিক্ষণে রিপোর্টি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০০ সালে গ্রহণ করা হয় মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস। সেখানে ২০১৫ সালের মধ্যে শিশু ও মায়ের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা গত বছর থেকে শুরু হয়েছে। গত শতাব্দির এক-চতুর্থাংশ সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ে অর্জনও কম নয়। ১৯৯০-২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচ মাস বয়সী শিশু মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে এদের মৃত্যু আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশতে নামিয়ে আনা হবে। এদিকে, ২০১১ সাল থেকে যুদ্ধের কারণে মানুষে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। সিরিয়া, ইয়েমেন এবং লিবিয়ায় যুদ্ধ তার কারণ। গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়াতে পুরুষদের প্রত্যাশিত আয়ু ১১ বছর কমেছে। ২০১৫ সালে অস্ত্রের ব্যবহারে যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু ৬৫ মিলিয়নে উপনীত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের মোট শরণার্থীর অর্ধেকই শিশু। এই রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের স্কোরও তুলে ধরা হয়েছে। যেমন- আমেরিকা করোনারি হার্ট ডিজিস, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস এবং মাদকের ব্যবহারে বাজে স্কোর করেছে। পশ্চিম ইউরোপ এবং এশিয়ার পূর্বে দেশগুলো বেশ ভালো স্কোর করেছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: প্রজাপতির মতো, তবে প্রজাপতি নয় Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন ফিচার প্রজাপতির মতো, তবে প্রজাপতি নয় 02 October 2016, Sunday প্রজাপতির মতো অবিকল দেখতে! তবে প্রজাপতি নয়! এটি মথ। এর গঠন প্রকৃতি বা স্বভাব অনেকটা প্রজাপতির মতো। বুঝতে না পারলে এক দেখাতেই প্রজাপতিই মনে হবে। প্রজাপতি আর মথ এ দুই প্রকারের পতঙ্গই ডানার ওপর নির্ভরশীল। তবে প্রজাপতি যেভাবে বাতাসের ভেতর ডানা ফেলে দূরে উড়ে বেড়াতে পারে; ততটা দূরে উড়ে যেতে পারে না মথ। রঙ আর সৌন্দর্যের ছোঁয়া প্রজাপতির ভেতরই বেশি পরিমাণে উপস্থিত। তবে এর ব্যতিক্রমও ঘটে। যেমন এই মথটি বেশ রঙিন। সম্প্রতি সকাল বেলায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের মুখে পাকা রাস্তার আশেপাশে এই মথটিকে উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। তারপর ক্যামেরা নিয়ে তার পিছু পিছু এগিয়ে যাওয়া। প্রথম দিকে তার চঞ্চলতা কিছুটা কষ্ট দেয় ছবি তুলতে। তখন সকাল হয়েছে ঘণ্টা দেড়েক আগে। চারদিকে তখনও সজীবতায় মাখামাখি আর বুনোফুলের ঘ্রাণ। কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর সে নিজ থেকেই একটি অতিক্ষুদ্র পরিত্যক্ত শুকনো কাঠের ওপর কিছুক্ষণের বিরতি নিলো। তারপর ছবি তোলার সুযোগ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রজাপতি গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী বাংলানিউজকে বলেন, এই মথের ইংরেজি নাম False Tiger moth এবং বৈজ্ঞানিক নাম Dysphania militaris। অনেকটা প্রজাপতির মতো দেখতে হলেও এরা আসলে মথ। তিনি বলেন, প্রজাপতি ও মথ উভয়েই লেপিডপ্টেরা বর্গের অন্তর্ভুক্ত। এ বর্গের অধীনে বেশিরভাগ প্রজাপতিই হচ্ছে মথ এবং সারা পৃথিবীতে প্রজাপতির তুলনায় মথ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় আটগুণ। এদের বিচরণ সম্পর্কে গবেষক বলেন, প্রজাপতি দিনের বেলাতে সক্রিয় থাকলেও মথ সাধারণত রাতের বেলাতে ঘুরে বেড়ায়। মূলত ভোর বেলা ও সন্ধ্যার দিকে বেশি সক্রিয় দেখা যায়। এরা অনেক সময় অনেকগুলো এক সঙ্গে হয়ে ভেজা বালু থেকে তাদের প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে। দিনের অন্য সময়ে সাধারণত পাতার উল্টো দিকে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। প্রজাপতি আর মথের পার্থক্য সস্পর্কে অমিত কুমার নিয়োগী বলেন, প্রজাপতিরা খুব রঙিন হয়ে থাকে। আর মথ ততটা উজ্জ্বল রঙিন নয়। অবশ্য ব্যতিক্রমও রয়েছে। মথের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট হলো এর অ্যান্টেনার সামনের অংশ তুলনামূলক ছুঁচালো ও অনেক সময় পালকের মতো হয়। পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য ফিচার 06 Nov, 2016 চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙে ময়মনসিংহবাসীর 06 Nov, 2016 কোথায় লাগাবেন পারফিউম 03 Nov, 2016 শেয়ারেন্টিং : সাবধান হয়ে যান বাবা-মায়েরা 01 Nov, 2016 বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র 01 Nov, 2016 কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যার সহজ সমাধান 01 Nov, 2016 যত আজব জুতা! 01 Nov, 2016 কমলার খোসায় সাতদিনে উজ্জ্বল ত্বক! 01 Nov, 2016 লিফটে আয়না থাকে কেন? 30 Oct, 2016 আমাজানের নিচে আরেক নদী 29 Oct, 2016 মানুষ কুমড়োর দেশ! 29 Oct, 2016 বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 29 Oct, 2016 শীতের আগেই পায়ের যত্ন 29 Oct, 2016 পরিবেশবন্ধুরা 29 Oct, 2016 সুখি জীবনের ছয় গোপন মন্ত্র 28 Oct, 2016 ১০ বিস্ময়কর বৃক্ষ টানেল 25 Oct, 2016 হঠাৎ হার্ট-অ্যাটাক হলে যা করবেন! 25 Oct, 2016 ওজন বেশি তো বুদ্ধি কম 25 Oct, 2016 শর্তে সুখী! 25 Oct, 2016 হারিয়ে যাচ্ছে মাছরাঙা 23 Oct, 2016 ফুচকার ইতিহাস! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ভারত সামরিক শক্তি গঠনে ‘অসমর্থ’ : ইকোনমিস্ট Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক ভারত সামরিক শক্তি গঠনে ‘অসমর্থ’ : ইকোনমিস্ট 01 Oct, 2016 ইকোনমিস্টকাশ্মির নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলছে প্রবল উত্তেজনা। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ব্রিটেন ভিত্তিক ইকোনমিস্ট। প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের শক্তির বিচার করা হয়েছে। অনেক ভারতীয়ের কাছে তাদের দেশের কৌশলগত অবস্থানটাই উদ্বেগজনক। তাদের দুই বৃহৎ ও পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশি হলো চীন ও পাকিস্তান। অতীতে উভয়ের বিরুদ্ধেই দেশটি যুদ্ধ করেছে, যা বিদ্যমান। উভয়ই একে অপরকে সহায়তা করতে জোটবদ্ধ। ভারতের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি জিডিপি-সমৃদ্ধ উদীয়মান পরাশক্তি চীন নিঃশব্দে ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রভাবে থাকা এলাকায় ঢুকে পড়ছে, উপমহাদেশজুড়ে ‘মুক্তার মালা’ জোট গড়ার প্রয়াস চালাচ্ছে। পাকিস্তান তুলনামূলক দুর্বল হলেও পরমাণু ঢালের আড়ালে সুরক্ষিত থেকে ইসলামি গেরিলাদের আশ্রয়দাতায় পরিণত হয়েছে, প্রায়ই ভারতীয় টার্গেটে আঘাত হানছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা অনেক দিন ধরেই আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের আরেকটি ঘটনা ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। এ কারণেই ১৮ সেপ্টেম্বর যখন ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত চার অনুপ্রবেশকারী একটি ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে প্রবেশ করে আত্মহত্যা করার আগে ১৮ সৈন্যকে হত্যা করল, তখন যৌক্তিক কারণেই আশঙ্কা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাঁটিটির অবস্থান ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত সীমান্ত ‘লাইন অব কন্ট্রোল’-এর কাছাকাছি পর্বতমালার ঢালে। ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়; প্রচন্ড জবাব দেয়ার দাবি জানাতে রাজনীতিবিদ আর বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় নামে। ‘অনুপ্রবেশ ঘটে, এমন প্রতিটি পাকিস্তানি চৌকি গোলায় উড়িয়ে দেয়া উচিত’- বলেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার, তিনি এখন ভারতীয় রাজধানী নয়া দিল্লিতে একটি থিঙ্ক ট্যাংকের কর্তা। পাকিস্তানের প্রতি কঠোর হওয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকার তার পূর্বসূরীদের মতোই নমনীয় পথ অবলম্বন করেছে। ২১ সেপ্টেম্বর লঘু শাস্তির জন্য পাকিস্তানি দূতকে তলব করে হামলাকারীরা যে সীমান্ত অতিক্রম করে এসেছিল, তার প্রমাণ তুলে ধরে, উল্লেখ করে, চলতি বছর শুরু থেকে এ ধরনের ১৭টি অনুপ্রবেশ ভারত রুখে দিয়েছে। ভারতের ‘সৌখিন’ যোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক। এমনটা হওয়ার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করে ভারত কূটনৈতিক মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে। পরমাণু বিস্তার এবং তার অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সে পুরোপুরি অবগত। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভালোভাবেই বোঝে, পাকিস্তানে তারা অস্বাভাবিক বৈরিতার মুখোমুখি হয় : দেশটির রাজনৈতিক ভঙ্গুরতা এমন এক মাত্রায় রয়েছে যে, যেকোনো ধরনের ভারতীয় উগ্র ও হুমকিসৃষ্টিকারী আচরণ পাকিস্তানের ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে থাকা উপাদানগুলোকে যথাযথভাবে শক্তিশালী করে ফেলে, যা ভারতের নিজের স্বার্থেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। তবে সংযত থাকার জন্য আরেকটি, যদিও অনেক কম দৃষ্টিগোচর হওয়া, কারণ রয়েছে। সংখ্যা দিয়ে যতটুকু মনে হয়, ভারত সামরিকভাবে ততটা শক্তিশালী নয়। এটা একটা গোলকধাঁধা। দেশটির অর্থনীতির সাথে পাল্লা দিয়ে তার আন্তর্জাতিক উচ্চাভিলাষ বাড়া এবং তার কৌশলগত অবস্থান উদ্বেগজনক থাকার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, ভারত প্রমাণ করেছে, সে সত্যিকার অর্থেই সামরিক শক্তি গঠনে ‘‘বিস্ময়করভাবে অসমর্থ’’। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী কাগজে-কলমে ভালোই দেখা যায়। চীনের পর সে-ই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীর অধিকারী, বিভিন্ন অঞ্চল ও পরিস্থিতিতে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে সে বিশ্বে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষ দেশ হিসেবে বিরাজ করছে। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সব অস্ত্রসম্ভার সে সংগ্রহ করছে। রাশিয়ার যুদ্ধবিমান, ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র, আমেরিকার পরিবহন বিমান, ফরাসি সাবমেরিন আছে তার কাছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ ভালো কিছু জিনিস উৎপাদন করে। বিশেষ করে বলা যায়, জঙ্গিবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কথা। তাছাড়া কোচির শিপইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার টনের বিমানবাহী রণতরী। উৎসঃ bdsangbad প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বেতনের অভাবে স্কুল থেকে নাম কাটা পড়েছিল মন্ত্রীর Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> জাতীয় বেতনের অভাবে স্কুল থেকে নাম কাটা পড়েছিল মন্ত্রীর 01 Oct, 2016 শৈশবে অভাব অনটনে বেড়ে উঠেছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এমনকি সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নাম কাটা পড়েছিল। শনিবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন অডিটরিয়ামে ‘সমাজ পরিবর্তনে যুব সমাজের ভূমিকা ও গান্ধী দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নিজের জীবনের কষ্টের দিনগুলির কথা এভাবেই ব্যক্ত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর ১৪৭তম জন্মজয়ন্তী ও আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমার জীবন অনেক কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। দারিদ্র জয় করেই আমি মন্ত্রী হয়েছি। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সময় বেতন দিতে পারিনি। যে কারণে আমার নাম কাটা পড়েছিল। ‘এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় টাকা দিয়ে পাশের বাড়ির একজন দিয়ে সহায়তা করেছিল। আমি সংগ্রাম করেই এই পর্যন্ত এসেছি। মানুষ ইচ্ছা করলে সব কিছুই পারে। জীবনে অসম্ভব বলতে কিছু নেই।’, যোগ করেন মন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সামনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ২০ থেকে সাত দশমিক ২৫ করে দেখাবো। সিপিডি যাই বলুক না আমরা অর্জন করে দেখাবো। আমরা প্রবৃদ্ধি নির্ণয় করতে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করি না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সমাজ পরিবর্তনে গান্ধী দর্শন জরুরি। দেশের সকল যুব সমাজ যদি নিজেকে গান্ধী দর্শনে আত্ম নিয়োগ করে তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে শান্তি, অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসারে গান্ধী দর্শন অবদান রাখবে। গান্ধী শুধু ভারত ও বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ্বের। গান্ধী ট্রাস্টের সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্যের সভাপতিত্ত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইউএনডিপি বাংলাদেশ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকশান্দ, টিচ ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মায়মুনা আহমেদ প্রমূখ। উৎসঃ banglanews24 প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 03 Sep, 2016 ২৬ জেলায় বসছে ফোনে আড়িপাতা যন্ত্র 21 Dec, 2015 ভারতীয় আগ্রাসী চরিত্র উন্মোচন করলেন পঙ্কজ শরণ 31 Oct, 2015 শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা 28 Oct, 2015 আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে দেশ 27 Oct, 2015 জনশক্তি রফতানিতে শকুনের থাবা 21 Oct, 2015 পুরোটাই ভারতের লাভ 20 Oct, 2015 সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই 17 Oct, 2015 ইন্টারপোলে ওরা ২০ 09 Oct, 2015 বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! 07 Oct, 2015 গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দেশ! 22 Sep, 2015 বিশ্বের ৫৩তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র বাংলাদেশ 11 Sep, 2015 বাংলাদেশের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নেপাল 08 Sep, 2015 বিশ্লেষকদের মত>> বেতন বৃদ্ধির চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে 07 Sep, 2015 সৌদিতে দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা 02 Sep, 2015 উৎকণ্ঠায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা 02 Sep, 2015 বৈঠকে ব্যয় কোটি টাকা 28 Aug, 2015 দাম বাড়ল গ্যাস ও বিদ্যুতের 31 Jul, 2015 বেপরোয়া পুলিশের একাংশ 29 Jul, 2015 এনজিও করো টাকা মারো 28 Jul, 2015 আগাম নির্বাচনে না 17 Jul, 2015 দুশ্চিন্তায় পাঁচ মন্ত্রী 12 Jul, 2015 ভিডিও >> বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে শতাধিক অসামি মুক্ত 02 Jul, 2015 গমের নিম্নমানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগেই জানত 01 Jul, 2015 দুই বিচারপতিকে সতর্ক করলেন আপিল বিভাগ 26 Jun, 2015 ঢাকায় সক্রিয় প্রাইভেট গোয়েন্দারা 24 Jun, 2015 মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে 22 Jun, 2015 চাকরির নামে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা 17 Jun, 2015 ৮৭২০ বর্গ কি.মি. এলাকা মরুভূমি হওয়ার আশঙ্কা 11 Jun, 2015 ‘প্রাণে বাঁচতে এএসআই জহিরের হাতে তুলে দিই তিন লাখ টাকা’ 09 Jun, 2015 বিটিসিএলে ১৪৯৮ কোটি টাকা লোপাট Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা ৫১টি খাদ্যপণ্যের ৬৪০টি নমুনা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারে পরীক্ষা করে ৩০টি পণ্যের ১৮৩টি নমুনাতেই ভেজাল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মিষ্টির যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার সব কটিতেই ভেজাল মিলেছে। সয়াবিন তেলে ভেজাল পাওয়া গেছে শতকরা ৭৫ ভাগে আর সরিষার তেলে ভেজাল মিলেছে শতকরা ৫২ ভাগে। ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় প্রায়ই অভিযান চালায়। জব্দ হয় বিভিন্ন ভেজাল পণ্যসামগ্রী, মামলা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে, জরিমানা আদায় হয়, সাজাও হয়। এত কিছুর পরও থামছে না ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রি। শুধু রাজধানীতে নয়, দিন দিন ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জে; যা বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। আসল বা ভেজাল চেনার কোনো উপায় না থাকায় মানুষ প্রতিনিয়ত ঠকছে আর চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, খাদ্যে ভেজালের কারণে দেশে নিত্যনতুন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। মানুষের রোগশোক লেগেই থাকছে। ভেজাল হিসেবে নানা বিষাক্ত ও ক্ষতিকর উপাদান বিভিন্ন খাদ্য হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এমন কোনো পরিবার পাওয়া যাবে না যারা খাদ্যে ভেজালের কারণে ভুক্তভোগী হয়নি। আর এ সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ খাদ্যে ভেজাল রোধে অভিযান অব্যাহত রাখা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাফর উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল শুধু ঢাকায়ই নয়, সারা দেশেই ছড়িয়ে আছে। আমরা আমাদের পরীক্ষায় এর প্রমাণ পাচ্ছি প্রতিনিয়ত।’ ভেজাল খাদ্য মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের সঙ্গে নানা বিষাক্ত রং, রাসায়নিক কিংবা অখাদ্য উপাদান মেশানো হয়। পরীক্ষাগারে দেখা গেছে, তেলের রং কখনো স্বচ্ছ বা গাঢ় করা অথবা ঝাঁজ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ধরনের রং ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার হলুদ-মরিচের গুঁড়ায় এখনো ইটের গুঁড়া জাতীয় উপাদান মেশানো হয়। মিষ্টিতেও নানা রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যার সবটাই জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশ থেকে ঢাকার মহাখালী ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় ৫১টি খাদ্যপণ্যের ৭৪০টি নমুনা। এর মধ্যে পরীক্ষাযোগ্য নমুনা ছিল ৬৪০টি। নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসারে পরীক্ষার পর ৩০টি পণ্যের ১৮৩টি নমুনার মধ্যে ভেজাল পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের ২৮টি নমুনার মধ্যে ২১টি ভেজাল ও সাতটি খাঁটি পাওয়া গেছে। একইভাবে সরিষার তেলের ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর ২৯টি নমুনায় ভেজাল ও ২৬টিতে খাঁটি তেল পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ল্যাবে আসা মিষ্টির ৩২টি নমুনার সব কটিতেই পাওয়া গেছে ভেজাল। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে লবণের ১৭টি নমুনায় ভেজাল ও ৫৭টিতে খাঁটি, হলুদের গুঁড়ার ১১টিতে ভেজাল ও ৫০টিতে খাঁটি, মধুর দুটিতে ভেজাল ও দুটিতে খাঁটি, গুড়ের ছয়টিতে ভেজাল ও ৯টিতে খাঁটি, বিস্কুটের ১০টি নমুনায় ভেজাল ও ৪৩টিতে খাঁটি, পাঁচটি ডালের নমুনায় ভেজাল ও ৪৯টিতে খাঁটি, সেমাইয়ের দুটি নমুনায় ভেজাল ও একটিতে খাঁটি, দুটি জেলির দুটিতেই ভেজাল পাওয়া যায়। একইভাবে একটি ঘির নমুনায় একটিতেই ভেজাল মিলেছে, ডালডার দুটি নমুনার একটিতে ভেজাল ও একটিতে খাঁটি পাওয়া যায়। এ ছাড়া একই ল্যাবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরীক্ষা করা খাদ্যপণ্যের ৭২৭টি নমুনার মধ্যে ২২১টিতে ভেজাল পাওয়া যায়। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের পাবলিক অ্যানালিস্ট মাজেদা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিদিনই সারা দেশের স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এসব নমুনার ভেতরে যেসব উপাদান থাকা প্রয়োজন তা কমবেশি তাৎক্ষণিকভাবেই শনাক্ত করা হয়। আবার অনেক নমুনা প্রয়োজন অনুসারে ফুড সেফটি ল্যাবে পাঠানো হয়। মাজেদা বেগম উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘মিষ্টিতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকার কথা অনেক সময় আমরা এর চেয়ে কম বা বেশি পেয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে বোঝা যায়, ওই মিষ্টিতে দুধের উপস্থিতি কম অথবা দুধের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে তেলের ক্ষেত্রে সাধারণত ফ্যাটি এসিড সঠিক মাত্রায় না থাকলেই এটা ভেজাল বলে ধার্য হয়। তবে কোনো নমুনায় রাসায়নিক কোনো মিশ্রণ আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয় নতুন ফুড সেফটি ল্যাবে। এর আগে ২০১৪ সালে একই জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের আওতায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণাগারে দেশি-বিদেশি একদল গবেষক ৮২টি খাদ্যপণ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গুলশান এলাকাসহ আরো বেশ কিছু বড় মার্কেট থেকে এসব খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে গড়ে ৪০ শতাংশ খাদ্যেই মানবদেহের জন্য সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৩ থেকে ২০ গুণ বেশি বিষাক্ত উপাদান শনাক্ত হয়। এসব খাদ্যে নিষিদ্ধ ডিডিটি থেকে শুরু করে রয়েছে কার্বামেড, কার্বাইড, অ্যালড্রিন, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, সিসা, ফরমালিনসহ আরো বেশ কিছু রাসায়নিক-ধাতব মিশ্রণের উপস্থিতি। ওই গবেষণায় বিশেষ করে ৩৫ শতাংশ ফল ও ৫০ শতাংশ শাকসবজির নমুনায় বিষাক্ত বিভিন্ন কীটনাশকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। আর আম ও মাছের ৬৬টি স্যাম্পলে পাওয়া গেছে ফরমালিন। চালের ১৩টি স্যাম্পলে মিলেছে মাত্রাতিরিক্ত বিষক্রিয়াসম্পন্ন আর্সেনিক। পাঁচটি স্যাম্পলে পাওয়া গেছে ক্রোমিয়াম। ৩০টি হলুদের গুঁড়ার স্যাম্পলে ছিল সিসাসহ বিভিন্ন ধাতব। লবণেও সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০-৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেছে। মুরগির মাংস ও মাছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্যাকেটজাত জুসে পাওয়া গেছে বেনজোয়িক এসিড। এ ছাড়া ২০১৪ সালে একই প্রতিষ্ঠানের আলাদা ল্যাবে পরীক্ষা করে মিষ্টি, রসগোল্লা, ছানা, ছানার সন্দেশ, ছানার মিষ্টি, আচার, চমচম ও মধুর শতভাগ নমুনায় ভেজাল মিলেছিল। আবার ৭৮ শতাংশ সয়াবিন তেল, ৪৬ শতাংশ সরিষার তেল, ৯৩ শতাংশ ঘি, ৯২ শতাংশ ডালডায় ভেজাল ছিল। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে জনসচেতনতা খুবই জরুরি। খাদ্যের ভেজাল থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে মারাত্মকভাবে। জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলেন, ‘সারা দেশ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর যেগুলোতে ভেজাল পাওয়া যায় সেগুলো চিহ্নিত করে স্ব-স্ব স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর ওই ইন্সপেক্টররা বিধি অনুসারে ওই নমুনা যে দোকান থেকে সংগ্রহ করেছেন সেই দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। আর কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতি মাসের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও নতুন চালু হওয়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থাপন করা হয়। আবার অনেক সময় ওই কর্তৃপক্ষ থেকেও আমাদের কাছে নানা তথ্য চাওয়া হয়।’ এ ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হিসেবে কার্যকর হওয়ার পর ভেজালের বিরুদ্ধে আরো দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। .dpuf উৎসঃ kalerkantha প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 04 Feb, 2016 আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এই ঘাতক ব্যাধি প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে সরকার ও ব্যক্তি বিশেষের ওপর তাগিদ দিতে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি সরকারি-বেসরকারিভাবে পালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতি বছর ২ লাখ মানুষ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় এবং ৭০ হাজার মারা যায়। বিভিন্ন সংস্থা দিবসটি পালনের লক্ষ্যে র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ বছর ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আমরা পারি, আমিও পারি।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। বর্তমানে বিশ্বে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। দ্বিতীয় এই মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক। চলতি বছরের প্রচারণায় সুস্থ জীবনযাপন, প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়, সবার জন্য চিকিত্সা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন- এই চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বাংলাদেশে ক্যান্সার ও এ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার আক্রান্ত হয় শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরণীরা। এদের মধ্যে কোলন ও লিভার ক্যান্সার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ তারা ফাস্টফুড বেশি খায়, শাকসবজি খুব কম খায়। হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিশেষজ্ঞদের সামপ্রতিক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আরেকটি কারণ কোমল পানীয় পান। এই কোমল পানীয়র মধ্যে অসিলা টক্সিন নামের একটি উপাদান থাকে। এটি লিভার ক্যান্সার সৃষ্টি করে। বর্তমান সময়ে নাক, কান, গলা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের সংখ্যা বেশি। মহিলাদের ব্রেস্ট ও জরায়ুর মুখে ক্যান্সার হয়। শিশুদের মধ্যে লিউকোমিয়া ও চোখের ক্যান্সার বেশি হয়। কেননা গর্ভবতী মা কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহণ করে। এছাড়া পরিবেশগত কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত হয় শিশুরা। যারা ধূমপান করে, তামাক খায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। স্বামী ধুমপান করলে স্ত্রী পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। স্ত্রীদের জরায়ু ও মূত্রথলীতে ক্যান্সার হওয়ার আশংকা থাকে বেশি। এদিকে ফুসফুসে ক্যান্সারে ৯০ শতাংশ কারণ ধুমপান। দেশে এ রোগে আক্রান্তদের ৬০-৭০ হাজার বিনা চিকিত্সায় মারা যায়। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে ২০টি কেন্দ্রে ক্যান্সার চিকিত্সা রয়েছে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিত্সা। গরীব ও মধ্যবিত্তের পক্ষে চিকিত্সা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, শুধু ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়। এটা আমাদের দেশের জন্য অশনি সংকেত। অভিভাবকদের এ ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সকল সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিত্সার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে। এ জন্য যা করার দরকার তাই-ই করা হবে। ক্যান্সার আক্রান্তদের শতকরা ৮০ ভাগই দরিদ্র। তাদের যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। উৎসঃ ইত্তেফাক প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:মাশরাফি ভক্তের কান্ডে ক্রিকেট মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> খেলা মাশরাফি ভক্তের কান্ডে ক্রিকেট মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ 01 Oct, 2016 বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকটি উত্তেজনা হারাচ্ছিল। এরই মধ্যে আফগানিস্তান সাতটি উইকেট হারানোয় এবং জয়ের লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে থাকায় বিজয়ের ক্ষণ গুনছেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। রাত ন'টা বাজতে কয়েক মিনিট বাকী আছে। উনত্রিশতম ওভারের একটি বল করতে ছুটে আসছেন তাসকিন আহমেদ। টেলিভিশনে যারা খেলাটি উপভোগ করছিলেন, তারা দেখলেন, তাসকিন বল ছুড়বার মুহুর্তেই অপর প্রান্তে থাকা আফগান ব্যাটসম্যান রশিদ খান হাত তুলে তাকে থামালেন। তারপরই টিভি ক্যামেরা ঘুরে গেল, মাঠের ভেতরে থাকা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পানে ছুটতে থাকা এক ব্যক্তির দিকে। স্পষ্টতই তিনি খেলোয়াড় নন। তিনি কোন কর্মকর্তা কিনা, পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছিল না। কিন্তু এর পর ওই ব্যক্তিটি যেটা করলেন তা অভাবনীয়। ব্যক্তিটি ছুটে গিয়ে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরলেন। মাশরাফিও কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তাকে জড়িয়ে ধরলেন। ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা মাশরাফির ওই 'পাগল' ভক্তকে ছাড়িয়ে নিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু হাত তুলে তাদের ঠেকালেন মাশরাফি। আরো কিছুক্ষণ 'স্বপ্নের' নায়ককে জড়িয়ে থাকার সুযোগ পেল ভক্ত। তারপর মাশরাফি তাকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন মাঠের বাইরের দিকে। তখনো নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ধরতে গেলে হাত তুলে তাদের ঠেকালেন এবং কিছু একটা বললেন। সম্ভবত বললেন, আমার এই পাগল ভক্তটিকে কিছু বলবেন না। এই ঘটনা দেখে আরো সবার মতো বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যান মাঠের প্রেসবক্সে উপস্থিত সাংবাদিকেরা। দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ বলেন, দশ বছর ধরে মাঠে এসে বাংলাদেশের খেলা দেখছি, কখনো কোনদিন কোন দর্শককে মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়তে দেখি নি। ক্রিকেট বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এমন দর্শক ঢুকে পড়ার উদাহরণ আছে উল্লেখ করে নোমান মোহাম্মদ বলছিলেন, বাংলাদেশে এমনটি কখনোই ঘটেনি। ক্রিকেটে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভেন্যুগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এমন কড়াকড়ি থাকে, যে কখনো কখনো বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে। খেলোয়াড়, আম্পায়ার ছাড়া সীমিত সংখক মানুষেরই মাঠে ঢোকার অনুমোদন থাকে। কোন সাংবাদিকতো দূরে থাক, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাচের সাথে জড়িত বহু কমূকর্তাই মাঠে ঢোকার সুযোগ পান না। আর গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের তো মাঠের ভেতরে ঢোকার সুযোগই নেই। গ্যালারির সামনে এমনভাবে গ্রীল দেয়া এবং প্রবেশ-বাহিরের এমন ব্যবস্থা করা যে, তাদের মাঠের ভেতরে যাওয়ার কোন উপায়ই নেই। এরকম নিরাপত্তা কড়াকড়ির মধ্যে ওই দর্শকটি মাঠের ভেতরে ঢুকলেন কিভাবে? এ ব্যাপারে মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকার পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। শুধুমাত্র মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিটিকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে তারা এখন করনীয় ঠিক করছেন। এই বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কথা বলতে রাজী হননি মিরপুর এলাকার পুলিশের উপকমিশনারও। মাঠেরে ভেতরের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য কয়েক মিনিট ম্যাচটি বন্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আফগানিস্তানের শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয়। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। জুলাই মাসে ঢাকার গুলশান হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ইস্যুতে দলটির বাংলাদেশে আসা নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল তা এরই মধ্যে কেটে গেছে। ইংল্যান্ড দল গতকাল শুক্রবারই ঢাকায় পৌঁছে গেছে। রবিবার থেকে তারা শুরু করতে যাচ্ছে অনুশীলন। এদিন তারা ঢাকার সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হবে বলে কথা রয়েছে। উৎসঃ rtnn প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 13 Sep, 2015 মামলা নিষ্পত্তির আগে ক্রিকেট খেলতে পারবেন না শাহাদাত! 11 Sep, 2015 সাময়িক নিষিদ্ধ হতে পারেন শাহাদাত! 08 Aug, 2015 সুন্দরবনে ফিরছেন টাইগার! 25 Jun, 2015 ভারতের মাটিতে এবার কি খেলতে পারবে বাংলাদেশ? 04 Nov, 2016 বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচের টসও হলো না বৃষ্টিতে 04 Nov, 2016 বিপিএলের শুরুতেই বৃষ্টির বাগড়া 02 Nov, 2016 মিরাজের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী 02 Nov, 2016 সুখবর দিলেন মুস্তাফিজ 31 Oct, 2016 শুধু বোলিং নয় ভবিষ্যতে ব্যাটিংয়েও প্রতিভা দেখাবো: মিরাজ 31 Oct, 2016 ইত্তেফাক মালিকের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা আদায়ের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর 31 Oct, 2016 অটো চালকের ছেলের হাতে ইংল্যান্ড হেরে গেল : ভারতীয় মিডিয়ায় মিরাজ 30 Oct, 2016 'ভাগ্য ভালো আমরা ২-০ তে টেস্ট সিরিজ হারিনি' 30 Oct, 2016 ম্যান অফ দি ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই 'মিরাজ' 30 Oct, 2016 মিরাজ-জাদুতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় 30 Oct, 2016 ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত শুরু 30 Oct, 2016 ইংল্যান্ডকে ২৭৩ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ 29 Oct, 2016 দ্বিতীয় ইনিংসেও ধস-রোগে বাংলাদেশ 29 Oct, 2016 আবার মিরাজ-তাইজুলের ভেলকি, শেষ হলো ইংল্যান্ডের ইনিংস 29 Oct, 2016 যেখানে মিরাজই একমাত্র 28 Oct, 2016 গ্যালারিতে কাঁদলেন মুশফিকের মা! 28 Oct, 2016 পুরনো চেহারায় বাংলাদেশ 28 Oct, 2016 প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ১১৭ রানের জুটি 28 Oct, 2016 টস জিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত 26 Oct, 2016 এবার প্রতিবন্ধী ভক্তের স্বপ্নপূরণ করে আবার নায়ক হলেন মাশরাফি 24 Oct, 2016 চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ভুলগুলো কী ছিল? 24 Oct, 2016 ৩ বলেই স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের! 22 Oct, 2016 স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের ২৭ রানে শেষ ৬ উইকেট 21 Oct, 2016 মিরাজ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২৯৩ রানে শেষ ইংল্যান্ড 20 Oct, 2016 চলছে সাকিব-মেহেদির ভেলকি, ইংলিশদের পঞ্চম উইকেটের পতন 15 Oct, 2016 একের পর এক সাব্বিরের আঘাতে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ড Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: অর্থমন্ত্রী ঢিলটা কাকে ছুড়লেন Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] অর্থমন্ত্রী ঢিলটা কাকে ছুড়লেন 24 March 2016, Thursday অর্থমন্ত্রী ‘প্রাজ্ঞ’ মানুষ। তার শ্রেণিচরিত্র রাজনীতিবিদের মতো নয়। আমলাতন্ত্র ভালো বোঝেন। অর্থনীতির পাঠটাও ভালো। সমস্যা দাঁড়িয়েছে রাজনীতির বাতাবরণে কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনে তার অরুচি নেই। এরশাদ ও শেখ হাসিনা তাকে কাজে লাগিয়েছেন। মাঝে মধ্যে উচ্চারিত তার কতক সরল বক্তব্য কিছুটা বিরক্তি থেকে, অংশত বয়সের প্রভাব। প্রশ্ন হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী ঢিলটা তো নিজের বিরুদ্ধেই ছুড়লেন। একই ঢিলে ক্ষত-বিক্ষত হলো ক্ষমতার কর্তৃত্বপরায়ণরা। রাজনৈতিক নিয়োগ পেশাদারিত্বকে কুরে কুরে খায়। পেশাদারিত্ব নষ্ট করে দেয়। অর্থমন্ত্রী আর কোনো ব্যাংক নয় বলার পরও রাজনৈতিক কারণে সরকার নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। মেরুদণ্ড সোজা হলে সেদিনই তিনি বেঁকে বসতেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তার বক্তব্য জনগণ ভোলেনি। অথচ তিনি নিজের অবস্থান পাল্টে লাগসই হয়ে রইলেন। তাই তার নীতিনিষ্ঠা ক্ষমতার জাদুকরী চাদর থেকে বেরোতে পারেনি। আজ নিজের বিরুদ্ধে, নিজের সরকার ও সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে বিব্রতকর বক্তব্য দিচ্ছেন, আবার কিল খেয়ে সেই কিল হজমও করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ব্যাপারে তার বক্তব্য রূঢ়, কিন্তু অবাস্তব নয়। এনবিআর চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সংযোগ প্রকাশের পর তার কি আর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত! এই আপস কি তার বিবেকের বিরুদ্ধে নয়? অর্থমন্ত্রী মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন। বুঝতে শুরু করেছেন স্বাধীনতাপদক গ্রহণের সুখ এখন তেতো হওয়ার পথে। পদত্যাগ গুজব তো আছেই, তার বিদায় চাওয়ার মতো লোকও কম নেই। এটিএম কার্ড জালিয়াত চক্রের শিকড় খুঁজে পেতে এখনো তদন্ত চলছে। বিশ্বাস ভঙ্গের এ রেশ না কাটতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটল। ভিন্নভাবে রাষ্ট্রের কোষাগার লুণ্ঠনের ইতিহাস অনেক পুরনো। তবে বাংলাদেশে যা ঘটেছে এবং ঘটছে, তার দায় যেভাবে শুধু প্রযুক্তি দস্যুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে- তা রীতিমতো বিস্ময়কর। রাষ্ট্রের অর্থ লোপাটের দায় অর্থমন্ত্রীর না হলে আর কার! এ দায় থেকে পুরো সরকার কিভাবে রেহাই পেতে পারে। হ্যাকারদের অভিযুক্ত করে সাইবার ক্রাইমের ওপর দোষ চাপিয়ে সরিষার ভেতর লুকিয়ে থাকা ভূত আড়াল করা হচ্ছে না তো! ড. আতিয়ার বলির পাঁঠা না হলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। বোবা না হয়ে গেলে তাকে মুখ খুলতেই হবে। নয়তো অন্ধ হয়ে প্রলয় ঠেকানো যাবে না। যদি তিনি যা বলবেন, তা সত্য বলবেন, সত্য বৈ মিথ্যা না বলার নৈতিক সাহস রাখেন। বাতাসে অনেক কথাই ভাসছে। যারা জবাব দেয়ার কথা, তারাই জবাব চাচ্ছেন। কারো কারো নীরবতা বিস্মিত হওয়ার মতো। ড. আতিউর দাবি করছেন- তিনি বিষয়টি সরকারপ্রধানকে যথারীতি অবহিত করেছেন। সরকারপ্রধান বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানেন কি জানেন না তা স্পষ্ট করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নিজে জানতে পারেননি বা তাকে ঠাণ্ডা মাথায় জানানো হয়নি। তাই ক্ষোভ ও বিস্ময় লুকাতে পারেননি। কার্যত ক্ষোভ দেখানোর এখতিয়ার তার নেই। তার তো জনগণের ক্ষোভের মুখোমুখি দাঁড়ানোর কথা। খবরটি জাতির মাথার ওপর বজ্রাঘাতের মতো হলেও সরকার পূর্বাপর নির্বিকার। তানভির হাসান কী বিশেষজ্ঞ তা জানি না। সে গুম হবে কেন? সরকার গুম করেছে এটা সত্য না হোক, কিন্তু সাত দিন দেশের একজন নাগরিক নিখোঁজ থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের কি কোনো দায় বর্তায় না! এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ডাকা আইওয়াশ কি না জানি না, তবে তদন্ত কমিটি, মামলা এবং টিভি ক্যামেরায় সুখী মুখ প্রদর্শন রুটিন কাজ। তদন্ত কমিটি হয়, রিপোর্ট দেয়, তা প্রকাশ হয় না। তার নগদ প্রমাণ পুঁজিবাজার নিয়ে খালেদ কমিটির রিপোর্ট। জাতির কোষাগার তসরুফের মতো ভয়াবহ বিপর্যয়ের পেরেশানি নীতিনির্ধারকদের চোখে মুখে এবং তৎপরতায় নেই। যদিও একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকার বিব্রত। এতেই কি বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার দায়মুক্ত হয়ে যায়! অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াতে পারে তেমন ঘটনা ঘটছে একের পর এক। হঠাৎ করে খবর এলো যুক্তরাজ্য কার্গোবিমান নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে তারা আর ব্যবহার করবে না। তড়িঘড়ি করে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হলো অভিযোগকারী দেশের একটি সংস্থাকে। দেশটা কি আবার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির খপ্পরে পড়েছে। নাকি দেশের কেউ তাদের ডেকে আনার ব্যবস্থা করেছে। কেন এতটা সীমা অতিক্রম করে গেল সিভিল এভিয়েশন, তা জানার আগেই মালয়েশিয়া থেকে খবর এলো- তারা ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দরজাও প্রায় বন্ধ। সব কারণ অজ্ঞাত। ব্যাংক লুণ্ঠনের কাহিনীও পুরনো। হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির কথা কেউ ভুলে যাওয়ার কথা নয়। বেসিক ব্যাংক এখন আলোচনায় আনা হয় না। সব কিছু ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। আর্থিক খাতে বিরামহীন লুণ্ঠনের অভিযোগ খণ্ডানো হবে কিভাবে। পুঁজিবাজার আর ঘুরে দাঁড়াতেই পারল না। যুবক, ডেসটিনির ভাগ্যহত বিনিয়োগকারীদের শেষ খবর কেউ রাখে না। যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক শিল্পকে ছাড় দিচ্ছে না, এখনো রহস্যাবৃত রয়েছে। এখন সব কিছুর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ না শুঁকে হাজার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। তসরুফ হওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার সব ব্যবস্থা করতে হবে। গুম, অপহরণ এবং দায় এড়ানোর মাধ্যমে ক্ষত লুকানো যাবে না। আপাতত আড়াল করা হলেও সেটা ইনফেকশনের পুঁজ হয়ে বেরোবে। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের দুই কোটি টাকা লোপাট করল এক কর্মচারী। লুটেরা ও তস্করদের স্পর্ধা কত বেড়েছে, সেটা বোঝার সময় এসেছে। ইতিহাসের সাক্ষ্য হচ্ছে, চার খলিফার পর উমাইয়া বংশের শাসন শুরু হয়ে যায়। জনগণ খলিফা নির্বাচনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যে অধিকার সংরক্ষণ করত, সেটার যবনিকাপাত ঘটে। দ্বিতীয় যে অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হলো- বায়তুলমাল বা রাষ্ট্রীয় কোষাগার ছিল জনগণের সম্পদ। রাষ্ট্র ছিল পাহারাদার। সরকার জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে ছিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উমাইয়া বংশীয় রাজতান্ত্রিক শাসন চালু হওয়ার পর কোষাগার বা বায়তুলমাল রাজার সম্পত্তিতে পরিণত হয়। সেই যে বঞ্চনার শিকার হওয়ার প্রক্রিয়া চালু হলো, তা থেকে আমরা আর মুক্ত হতে পারলাম না। রাজকোষের জন্য জবাবদিহিতার আর কোনো বালাই রইল না। তবে এটা ঠিক, কখনো কখনো মৌলিক মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন কিছু শাসক ইসলামি নৈতিকতার প্রসার ঘটিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বটে, কিন্তু জনগণ তার কোষাগারের ওপর সার্বভৌম অধিকার আর কখনো ফিরে পায়নি। আব্বাসি ও অটোমান যুগেও উমাইয়া ধারা পরিবর্তন হয়নি। রাজা-বাদশাহ-খলিফা-সুলতান-আমির যে নামেই পরিচিত হোক, কোষাগার নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো এখতিয়ার আমজনতার নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। নির্বাচিত সরকার কোষাগার নিয়ন্ত্রণ করবে- এটাই নিয়ম। এতে পরোক্ষভাবে হলেও জনগণের একটা অধিকার স্বীকৃতি পায়। অথচ অনির্বাচিত সরকারও জনগণের দোহাই দিয়ে জনগণের আমানত খরচ করে। জবাবদিহি না করেই জনগণের দেয়া খাজনা-ট্যাক্স থেকে আহরিত আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ব্যবহারে সরকারের দায়বদ্ধতা আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা জরুরি। উৎপাদন খাতে ব্যয় কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তা জনগণ যেভাবে জানা উচিত সেভাবে জানে না। এমন এক সংসদ রয়েছে যেখানে কার্যত বিরোধী দল নেই, তাই জনগণের হয়ে কথা বলার মতো কোনো ব্যবস্থা অবশিষ্ট রইল না। দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করলে নাগরিকত্ব দেয়ার টোপ দেয়া হয়েছে। ফলাফল দেখার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে। টাকা জমে রিজার্ভ স্ফীত হচ্ছে। সেই রিজার্ভে হানা দিয়েছে প্রযুক্তি দস্যু এবং দেশী-বিদেশী লুটেরা গোষ্ঠী। অথচ টাকার কাক্সিক্ষত প্রবাহ নেই। সরকার টাকা খরচ করার সময় এমন ভাব দেখায় যেন তাদের বাবার তালুক খরচ করছে। প্রতিটি কানাকড়ি যেভাবে জবাবদিহির মাধ্যমে খরচ করা উচিত, আজকাল সেভাবে ভাবাও হয় না। প্রবাসীদের রক্তমূল্যের রেমিট্যান্স, কৃষি খাতের স্বাভাবিক গতি, কৃষকের ঘামে ভেজা উৎপাদিত পণ্যের সুফল এবং বেসরকারি উদ্যোগের কিছু প্রাণচাঞ্চল্য স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে। নয়তো লুটপাটতন্ত্র ও সুবিধাভোগীরা দেশটিকে আবার তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে দিত। এমনিতে দুর্নীতির রাহু সব কিছু খেয়ে ফোকলা করে দিচ্ছে। কী আজব দেশের বাসিন্দা আমরা! আমাদের কোষাগার লুণ্ঠিত হলো। এ তো পলাশীর পর মুর্শিদাবাদের কোষাগার লুণ্ঠনের ক্লাইভীয় দুঃসহ স্মৃতি জাগিয়ে দিলো। গভর্নর নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করে দাবি করলেন, তিনি বীরের মতো কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও বললেন, আতিউর সৎসাহসের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পদত্যাগ যদি এতই বীরের কাজ ও সৎসাহসের বিরল দৃষ্টান্তের উপমা হয়, আপনারা জনগণের এত ক্ষোভ-দুঃখ, বাদ-প্রতিবাদ দাবি-দাওয়া মেনে সবাই বীর সেজে যাচ্ছেন না কেন! কেন বিরল প্রজাতির খাতায় নাম তুলছেন না! নির্বাচন ও সরকার গঠন নিয়ে এত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না কেন? প্রসঙ্গত একটা গল্প মনে পড়ল। কৃষক ক্ষেতের আইলে বসে বিলাপ করছে। সবাই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছে। একজন বলল- ক’দিন আগে তোমার পোলার বউ মারা গেল তুমি শান্ত ছিলে, তারপর মেয়ের জামাইটাও গত হলো, তাতেও তোমার ধৈর্যের বাঁধ অটুট ছিল। এখন আবার কী ঘটল যে তোমাকে বিলাপ করতে হচ্ছে। কৃষকের কান্নাকাতর অস্ফুটস্বরে জবাব, তোমরা বুঝতে পারছ না আগে যা ঘটেছে তা তো পরের ওপর দিয়ে গেছে, জামাই পরের পোলা, বউ পরের মাইয়া, বলদটা যে কাল মারা গেল সেটা তো আমার। চাষবাস বন্ধ, আমার চলবে কিভাবে! এখন মনে হচ্ছে বাংলাদেশের কোষাগার জনগণের, ড. আতিউরের কী; অর্থমন্ত্রীর কী, আর অন্যদেরই বা কী আসে যায়। যা গেছে জনগণের টাকা গেছে। কপাল পুড়লে জনগণের পুড়ল। বাকিদের রক্তক্ষরণের তাগিদ কী। অর্থমন্ত্রী দায়মুক্ত নন। তারপরও তার কিছু পেরেশানি চোখে পড়ে। সাক্ষাৎকার দিয়েও চাপে পড়ে সুর পাল্টাতে হয়। নিজেও জানি, এভাবে গল্প দিয়ে বিষয়টি হালকা করার কোনো অর্থ হয় না। অর্থ সচিব পরিবর্তন করা হলো। দুই ডেপুটি গভর্নর অপসারিত হলেন। গভর্নর পত্রপাঠ বিদায় না হয়ে বীর হয়ে গেলেন; অথচ দিল্লি বসেই তিনি পদচ্যুত হওয়ার খবর জেনেছেন। এখনো তদন্ত শেষ হলো না, কারো দায়দায়িত্ব নিরূপিত হলো না। মামলা হলো ১৫ মার্চ। গভর্নর জানেন শুরুতেই। অবহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। গভর্নর এরই মধ্যে ভারত সফর করে এলেন, যে সফর বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে গুরুত্বহীন। এতটা নির্বিকার ও দায়হীন মানুষের স্বাক্ষরে দেশের কাগুজে মুদ্রা ছাপা হতো, পরিহাস বটে! এত দিন শুনে আসছিলাম, রাকেশ আস্তানারা কলকাঠি নাড়েন। সুর-অসুররা সব নীতিনির্ধারণী কাজের মুসাবিদা করে দেন, ড. আতিউর তাতেই সইটা করেন। অবশিষ্ট কাজ আপনাআপনি হয়ে যায়। রবীন্দ্রচর্চা আর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে গভর্নর তার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখেন। অর্থমন্ত্রী নিজেও সাক্ষ্য দিলেন, গভর্নর ও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়মুক্ত নন। এত দিন আরো অনেক কথাই শুনতাম, যা আমলে নিচ্ছি না। শুধু এতটুকু বলব, ১৬ কোটি মানুষ সবাই ঘুমিয়ে নেই। তারা ভালো করে স্মরণে রেখেছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে আজ পর্যন্ত জনগণের ভোটের যে পরিমাণ আমানত খেয়ানত করা হয়েছে তার মূল্য কত? জনগণ এরও একটা মগজি হিসাব করে রেখেছে। ঢিলটা তো মারলেন অর্থমন্ত্রী, জনগণ কি পাটকেল চেনে না? তারপরও বলব, শুধু অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্যেই মুশকিল আসানের ধন্বন্তরি লুকিয়ে নেই, জনগণের সরকারই জরুরি। কোনো সরকারই স্থায়ী নয়। যার যার অবস্থানে সবাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেউ অপরিহার্য নয়। তাহলে পৃথিবী থমকে দাঁড়াত। অথচ সময়ের গতির চাকা সামনে যাবেই। ড. আতিউর নিজেও জানতেন না, ভারত থেকে এসে পরদিন ১৫ মার্চ তাকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে। ফজলে কবিরও জানতেন না বিদেশে বসে তিনি নতুন গভর্নরের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানতে পারবেন। ক্ষমতা ও ইজ্জত এভাবেই আসে-যায়। সময় নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজেরই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য দিতে দাঁড়িয়ে যায়। তখন মুখে কুলুপ এঁটেও হাজার অভিযোগ খণ্ডানো যায় না। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সবার দায় নিরূপণ করতে হবে। সাধারণ তদন্তে মানুষের কোনো আস্থা নেই। শত শত তদন্ত কমিটির শেষ পরিণতি ও ভাগ্যের খবর কেউ জানে না। এ জন্যই বিচার বিভাগীয় তদন্ত এখনো দাবি করা হয়। তদন্তের মাধ্যমে যার যা পাপ্য তাই তাকে পাইয়ে দিতে হবে। জনগণ বিরল কোনো নজির দেখতে চায় না। শুধু চায় রাষ্ট্রীয় আমানত যারা খেয়ানত করেছে, তারা চিহ্নিত হোক। বিচারের ন্যায়দণ্ড সবার জন্য সমান থাকুক। বাতাসে উড়ে বেড়ানো নানা কথার জট খুলুক। তাই তদন্তের আগে রায় নয়, বিচারের আগে শাস্তি নয়- এই নীতির মাধ্যমে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নিশ্চিত করতে হবে। উৎসঃ নয়াদিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বিশ্বের সর্বাধিক মস্তিস্কের সংগ্রহ বেলজিয়ামে Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক বিশ্বের সর্বাধিক মস্তিস্কের সংগ্রহ বেলজিয়ামে 01 Oct, 2016 বেলজিয়ামের ডাফেল মানসিক হাসপাতাল গবেষণার জন্য আনা হয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক বড় জরা মস্তিস্কের সংগ্রহ। একজন ব্রিটিশ চিকিৎসকের সংরক্ষিত প্রায় ৩ হাজার ঘিলুর সংগ্রহশালা লন্ডন থেকে পাঠানো হয়েছে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ওই হাসপাতালটিতে। নতুন এ সংগ্রহে রয়েছে ফ্রন্টাল লোব, হিপ্পোক্যাম্পাস ও মস্তিষ্কের ফর্মালডিহাইড ভাসমান অন্যান্য মূল অংশ বা প্যারাফিন- যা বিষণ্নতা বা সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক অসুস্থতার কারণ ও প্রতিকারের গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হবে। ব্রিটিশ নিউরোপ্যাথলজিস্ট জন করসেলিস ১৯৫১ সাল থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষের মাথার ঘিলু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন। লন্ডন কর্তৃপক্ষ সেগুলো বেলজিয়ামে হস্তান্তর করেছে। ডাফেল মানসিক হাসপাতালের গবেষণা পরিচালক ম্যানুয়েল মরেনস্‌ এবং তার সহকর্মীরা এন্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করবেন মস্তিস্কগুলো নিয়ে। ‘আমাদের জানা মতে, এটি বৃহত্তম মস্তিষ্কের সংগ্রহ পাওয়া যায়’- বলেন ম্যানুয়েল মরেনস্‌। তিনি বলেন, ‘কঠোর নৈতিক নির্দেশনা থাকায় বর্তমানে বেলজিয়ামে মৃত রোগীর মস্তিষ্কের টিস্যু সংগ্রহ সত্যিই কঠিন। আমরা মস্তিষ্কের রক্তের নমুনা থেকে সাধারণত কিভাবে মস্তিস্ক কাজ করে সে বিষয়ে গবেষণা করি। নতুন এসব সংগ্রহ দিয়ে এখন আমরা সরাসরি গবেষণা করতে পারবো’। এসব ঘিলু নিয়ে গবেষণার প্রধান সুবিধা হল যে, সেগুলো আগে স্পর্শ করা হয়নি। ‘চিকিৎসাধীন রোগীর মস্তিস্ক থেকে ঘিলু সংগ্রহ করায় সমসাময়িক গবেষণা বাধাগ্রস্ত হয়। এখন আমরা রোগীর অসুস্থতার সত্যিকারের কারণও চিহ্নিত করতে পারবো’- ব্যাখা দেন মরিন্‌স। করসেলিসের সংগ্রহগুলো দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি মানসিক হাসপাতালে বয়াম এবং টাবে রাখা হয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাদের সংগ্রহের স্থান সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিচ্ছে। সংগ্রহগুলো মানসিকভাবে অসুস্থ, মৃগীরোগী, আলজেইমার রোগী এমনকি মুষ্টিযোদ্ধাদের কাছ থেকেও বিনিময়ে নেয়া। করেলিসের সংগ্রহের সংখ্যা ৮ হাজার ৫০০টি। কিন্তু বেলজিয়ান ডাক্তাররা প্রধানত বিষণ্নতা এবং সিজোফ্রেনিয়ার রোগীদের মস্তিস্কগুলো সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি জরা মস্তিষ্কের সঙ্গে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত নিজস্ব চিকিৎসা ফাইল রয়েছে। গবেষক ভায়োলেট কপেনস্‌ বলেন, ঘিলু নিয়ে গবেষণা জৈবিক মনোরোগবিদ্যার বিজ্ঞান, যা স্নায়ুতন্ত্রের জৈব কার্যকারিতা এবং মানসিক সমস্যা বুঝতে সহায়তা করে। সংগ্রহগুলো এক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা ও নতুন আবিষ্কারের ক্ষেত্র উন্মোচিত করবে’। তিনি বলেন, ‘১৯৮০ সাল থেকে সাইকিয়াট্রি একটি বিজ্ঞান বলে বিবেচিত হচ্ছে। এখন বৈজ্ঞানিক তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হলো’। ‘কিন্তু শরীরের সবচেয়ে ভালো ও সুরক্ষিত এ অঙ্গ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। সেজন্য মস্তিষ্ক অধ্যয়ন সবচেয়ে কঠিন হলেও করলেসিসের এ সংগ্রহগুলো আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন’। কোপেনস্ এবং তার সহকর্মীরা ঘিলু থেকে নমুনা কাটবেন। তারপর একটি মাইক্রোস্কোপে গবেষণার মাধ্যমে রোগ-প্রদাহ জন্য পর্যবেক্ষণ করবেন। বিভিন্ন মানসিক রোগের কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উৎসঃ banglanews24 প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 17 Oct, 2015 কাশ্মীর ভারতের নয়, হাইকোর্টে ঐতিহাসিক রায় 30 Nov, 2014 আজানের ধ্বনিতে বিজেপি প্রধানের বক্তব্য বন্ধ 06 Nov, 2016 হিন্দুদের ওপর আক্রমণে ভারতের উদ্বেগ, হাসিনার সঙ্গে শ্রিংলাকে সাক্ষাৎ​ করতে বললেন সুষমা 06 Nov, 2016 নির্মল বাতাসের বিশ্বের সেরা শহর হচ্ছে রাজশাহী 06 Nov, 2016 হিলারিকে অভিযুক্ত করছে না এফবিআই, সব ফক্স নিউজের অপপ্রচার! 06 Nov, 2016 স্টেজ ছেড়ে পালালেন ট্রাম্প! 05 Nov, 2016 ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুদ্ধ শুরু করবেন: হিলারি 05 Nov, 2016 'সমকামিতার পাপে ইতালিতে ভূমিকম্প' 04 Nov, 2016 সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত 04 Nov, 2016 তুরস্কে ১১ এমপি আটকের পর বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা 04 Nov, 2016 ভারতীয় সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী! 04 Nov, 2016 গ্রেট আমেরিকার জন্য হিলারিই কেন একমাত্র পছন্দ 03 Nov, 2016 জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ 03 Nov, 2016 চীনা নৌযানে দক্ষিণ কোরিয়ার এলোপাথাড়ি গুলি 03 Nov, 2016 মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমরা ভোট দিচ্ছেন 03 Nov, 2016 যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর ভাগ্য সংকটাপন্ন: ওবামা 03 Nov, 2016 ‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ 03 Nov, 2016 ফ্লোরিডায় হিলারির ভাষণে পাল্টে গেল দৃশ্যপট 02 Nov, 2016 ভারতে আইএসের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ 01 Nov, 2016 ভিডিও >> কথা বলতে বলতে গুলি, পরে দাঁড়াল বন্দুকযুদ্ধ! 01 Nov, 2016 ভারতে আট মুসলিম ছাত্রনেতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তীব্র বিতর্ক 31 Oct, 2016 রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কাশ্মীরের স্কুল 30 Oct, 2016 ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ‘বিস্ফোরক অবস্থা’ 29 Oct, 2016 বাংলাদেশিদের করুণ গল্প>> ভাগ্য বদলাতে বিদেশ গিয়ে উল্টো ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা 29 Oct, 2016 ভিনগ্রহীরা আসছে, পুতিনকে সতর্ক করলেন ওবামা 29 Oct, 2016 পাক হামলার শঙ্কা, পশ্চিম উপকূলে সেজে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী 28 Oct, 2016 ভারতীয় গোয়েন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ সীমান্তের হাম রেডিও সিগন্যাল 28 Oct, 2016 'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর 27 Oct, 2016 ‘ট্রাম্প হারলে বন্দুক হাতে তুলে নেবো’ 27 Oct, 2016 পাক-ভারত সীমান্তে গুলি বিনিময়, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> স্বাস্থ্য বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে প্রজনন ক্ষমতা 16 Jan, 2016 গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেছেন, অননুমোদিত মাত্রার বিষাক্ত রাসায়ানিক ব্যবহার করে তৈরি করা মশার কয়েল প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এসব কয়েলের ধোঁয়া মশা মারছে ঠিকই, কিন্তু তা মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরজ বাচ্চার জন্মহার বেড়ে গেছে। শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. পূরবী বলেন, এসব কয়েলের ধোঁয়া চোখে কম দেখা, মাথাব্যাথাসহ নানা সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। মশা নানা রোগের কারণ মন্তব্য করে তিনি সিটি করপোরেশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ''দয়া করে মশা মারতে পানি ছিটাবেন না, ওষুধ ছিটান।'' বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাব'র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক. ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসটিআই'র সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক, র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, এসিআই লি. এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ। বিডি-প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 10 Oct, 2015 দক্ষিণ এশিয়ায় জমজমাট কিডনি ব্যবসা! 05 Sep, 2015 অর্থলোভে অহেতুক অস্ত্রোপচার 04 Jul, 2015 ঘুষ দিন, সেবা নিন 06 Nov, 2016 পান সুপারিতে মুখের ক্যান্সার : সচেতনতায় লন্ডনের বাঙালী পাড়ায় সরকারী প্রচারাভিযান 26 Aug, 2016 বড়দের ওষুধ খাচ্ছে শিশুরা 07 Aug, 2016 রেডিয়েশনের ক্যান্সার ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ! 22 Jun, 2016 বোমা তৈরির সরঞ্জামাদী দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক বিস্কুট 21 Jun, 2016 অ্যাসিড ও কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কোমল পানীয়! 28 Apr, 2016 সাবধান, লিচুতে নতুন ভাইরাস 22 Apr, 2016 সেবা নয়, বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে বারডেম হাসপাতাল 09 Apr, 2016 শিশুখাদ্যে প্লাস্টিক: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভবিষ্যত! 09 Apr, 2016 দেশের শতভাগ মিষ্টি, ৭৫ ভাগ সয়াবিন তেলে ভেজাল 09 Apr, 2016 ১০ টাকার ডাক্তার! 16 Feb, 2016 শেকৃবিতে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উদ্ভিদ 07 Feb, 2016 বাংলাদেশেও ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্মাতে পারে 04 Feb, 2016 শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, কারণ ফাস্টফুড 03 Feb, 2016 প্রতিবন্ধিত্বের ৩ শতাংশই ভুল চিকিৎসায় 01 Feb, 2016 দেশে নতুন রোগের প্রকোপ 27 Jan, 2016 সাবধান! মাছ-মুরগির খাদ্যে ক্যানসারের বীজ 27 Jan, 2016 ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত দেশের লাখো টিন এজার, যুবক-যুবতী ! 27 Jan, 2016 মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়া >>শাকসবজিও নিরাপদ নয়! 26 Jan, 2016 পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে যে ৭৫ হাসপাতাল 21 Jan, 2016 পাউরুটিতে জেলির নামে এ কী ব্যবহার হচ্ছে ! 16 Jan, 2016 নেত্রকোনার অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত অনেকে 28 Dec, 2015 ভিডিও >> অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ায় ১৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত 24 Dec, 2015 অ্যান্টিবায়োটিক ‘নেশা’ ঘরে-ঘরে 20 Dec, 2015 মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি দামি খাবার দেশে! 17 Dec, 2015 ‘মানবিক ভুল!’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অজুহাত আর কতদিন? 06 Dec, 2015 ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ, খুলে দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 03 Dec, 2015 শিশুদের দুর্বল বানাচ্ছে বাইরের খাবার Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 10 May 2016, Tuesday পৃথিবীজুড়ে কর্তৃত্ববাদী নিপীড়কের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, প্রতিবাদী মজলুমের সংখ্যার ক্ষেত্রেও গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বোধ করি এই সময়টি বিশ্বাসী মানুষকে নতুন এক ক্রুসেডের যুগে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী চিহ্নিত করে দ্বন্দ্বটাও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এ যেন দাসপ্রথা ও বর্ণবাদের নতুন অবয়ব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার নয়া নীলনকশা। এ যেন ফেরাউনি যুগে প্রত্যাবর্তন। আদর্শিক সঙ্ঘাতের রূপান্তরও ঘটেছে দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে। এই সঙ্ঘাতের সূচনা সৃষ্টির শুরু থেকেই। তারপরও যেকোনো কালজয়ী আদর্শ ও বিশ্বাসের নিজস্ব একটি প্রাণশক্তি থাকে। গুনে গুনে বিশ্বাসী সব মানুষকে নির্মূল করে দেয়া সম্ভব হলেও প্রাণশক্তির কারণে নতুন করে আরো বেশি দৃঢ়চেতা ও লড়াকু বিশ্বাসী জন্ম নেন। ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদ বর্তমান বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ধনতন্ত্র থেকে জন্ম নেয়া বস্তুবাদ সব আদর্শিক চৈতন্যকে গিলে খাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের যুদ্ধবাদী নীতি ও ধনতান্ত্রিক আগ্রাসনের শ্যেন দৃষ্টিটা পড়েছে প্রধানত মুসলিম বিশ্বের ওপর। এর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে আদর্শ হিসেবে ইসলাম, জাতি হিসেবে মুসলমান, রাষ্ট্র হিসেবে মুসলিমগরিষ্ঠ দেশ। আফগানিস্তান এখন পোড়ামাটির দেশ। ইরাক বিরানভূমি। সিরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত। লিবিয়া কাবু। মিসর আক্রান্ত। ‘মুসলিম’ নামটি অপাঙক্তেয়। ইসলাম বিদ্রুপের বিষয়। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, তালেবান, আলকায়েদা, আইএস প্রভৃতি নানা বর্ণে ও নামে মুসলমানদের সন্ত্রাসীর কাতারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিনাবিচারে; যদিও সন্ত্রাসের ধর্ম নেই। সন্ত্রাসীর আদর্শ নেই; দেশ নেই। সন্ত্রাস নিন্দনীয়। সন্ত্রাসী ঘৃণ্য। আমরা ইহুদি সন্ত্রাসী চাই না। ইহুদিবাদ পছন্দ করি না। হিন্দু সন্ত্রাসী চাই না। হিন্দুত্ববাদ সমর্থন করি না। তেমনি খ্রিষ্টান-মুসলমান এবং তাদের নাম, ধর্ম, জাতিগত পরিচিতি আক্রান্ত হতে পারে না। অথচ সেটাই হচ্ছে। ভাববার বিষয় হলো- এই প্রবণতা থেমে নেই মুসলিমরা যেখানে সংখ্যালঘু সেখানেও। উল্লেখ্য, পৃথিবীর সংখ্যাগুরু মুসলমান বাস করে বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে। ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, চীন, ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে তো বটেই, রাশিয়া আর বেশির ভাগ আফ্রিকান জনপদেও মুসলমানেরা সংখ্যালঘু। সমস্যাটা এখানেই। তাদের ওপর আরোপিত সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের দায় নিতে হয় নামধারী ও পোশাকি মুসলমানদেরও। মুসলিম নামটি পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকায় অসহ্য। এ নামের কারণে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। অকারণে নবী-রাসূল আ:দের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়। শালীন পোশাক স্কার্ফও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের বিষয়। এত প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও অনেকেই মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছেন। এ সংখ্যা একেবারে নগণ্য নয়। বরং গুণগত বিচারে তাৎপর্যপূর্ণ বটে। সব নেতিবাচক প্রোপাগান্ডার পরও ইউরোপ-আমেরিকায় বিশ্বাসী মানুষের জায়গা করে নেয়ার প্রয়াস অন্তহীন। তাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বাসের দিকে ঝুঁকছে। খানিকটা গণতন্ত্র চর্চা ও মানবাধিকার সংরক্ষণের কারণেই কিছু আশাবাদী হওয়ার মতো খবরও পাওয়া যাচ্ছে। যেমন পশ্চিমা সভ্যতার ভরকেন্দ্র, মহানগরী লন্ডনে প্রথমবারের মতো অভিবাসী পরিবারের সন্তান, অশ্বেতাঙ্গ ও মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান (৪৫)। লন্ডনে বেড়ে ওঠা সাদিক আত্মপরিচয় ভোলেননি। একজন অশ্বেতাঙ্গ ও মুসলিম হিসেবেই বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান ৪৪ শতাংশ ভোট আহরণ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ ভোট। চূড়ান্ত ফলাফলে সাদিক খান বিজয়ী হয়ে মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি বিদায়ী মেয়র রক্ষণশীল বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এতটুকু খবর ‘নির্দোষ’; স্বাভাবিক ও সাধারণ। প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। নতুন মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুৎসিত ও অসংযমী সাম্প্রদায়িক প্রচারণায় কলঙ্কিত হয়ে উঠেছিল লন্ডন। ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে সাদিক খান মুসলিম হওয়ায় জ্যাক গোল্ডস্মিথ প্রচারণাকালে তার সাথে চরমপন্থীদের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে সাদিক খান সরাসরি এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। গোল্ডস্মিথ এতটা বর্ণবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা প্রদর্শন করলেন যা অকল্পনীয়। সাম্প্রদায়িকতার এমন এক উৎকট প্রচারণা চালালেনÑ তাতে বিবেকবান লন্ডনবাসী শুধু ধিক্কার জানাননি, প্রেস্টিজিয়াস জরিপ সংস্থা ইউগভের এক জরিপে লন্ডনের ২০ শতাংশ বাসিন্দা গোল্ডস্মিথের প্রচারণাকে ‘নোংরামি’ বলে আখ্যায়িত করতে বাধ্য হয়েছেন। শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত জরিপে সাদিকের এগিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হলো, তার ধর্মীয় পরিচয়কে হাতিয়ার করে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী গোল্ডস্মিথের আক্রমণকে ভালো চোখে দেখছেন না ভোটাররা। তাই সাদিক যোগ্যতার গুণে সাধারণ ভোটারদের সিমপ্যাথি পেয়েছেন বেশি। বিলাতের ধনকুবের গোল্ডস্মিথের সন্তান জ্যাক। তারই বোন জেমিমা পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের স্ত্রী ছিলেন। বোন জেমিমাও ভাই জ্যাকের নোংরা নির্বাচনী প্রচারণায় সায় দিতে পারেননি। বরং ভাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। লন্ডন স্বপ্নের নগরী। ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজধানী লন্ডন। লন্ডন পশ্চিমা সভ্যতার পীঠস্থান। একসময় অর্ধ বিশ্ব শাসিত হতো লন্ডন থেকে। এই উপমহাদেশও ছিল ব্রিটেনের কলোনি বা উপনিবেশ। সেই লন্ডনের নতুন ‘বাদশাহ’ হলেন সাদিক খান। এ যেন পশ্চিমা জগতে নতুন কিং খানের আবির্ভাব। তাৎপর্যপূর্ণ জয় পেলেন সাদিক। সেই সাথে নতুন এক জয়ের স্বাদ পেল বিশ্ববাসী। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাদিকের বিজয় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পাকিস্তানের অভিবাসী এই সাদিক খান উঠে এসেছেন একেবারে সাধারণ পরিবার থেকে। তার বাবা একজন বাস ড্রাইভার। সাদিক খান একজন মানবাধিকার আইনজীবী। সাধারণ মানুষ হিসেবেই তার পরিচিতি এবং খ্যাতি। এর আগে তিনি এমপি হয়েছেন, কমিউনিটি লিডার হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। অন্য দিকে একচল্লিশ বছর বয়সী গোল্ডস্মিথ ইংল্যান্ডের ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের সন্তান। বাবার অর্থবিত্ত ও যশ-খ্যাতি স্মিথকে অনেক ক্ষেত্রে সামনে বাড়িয়ে দেয়। তারপরও ভোটারদের মনে তার আগ্রাসী প্রচারণাযুদ্ধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সাদিক এর সুফল পেয়েছেন। সাদিক জেতা মানে ইসলাম জেতা নয়; বরং মিথ্যা, বিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা হেরে যাওয়া এবং তথ্য সন্ত্রাসের কাছে লন্ডনবাসী মাথানত না করা। ব্রিটেনের রাজনীতিতে লেবার পার্টি দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষের সিমপ্যাথি পেয়ে আসছে। তার ওপর লন্ডনে এ দলের সমর্থন বেশি। এখানে ৭৩টি সংসদীয় আসনের ৪৫টিই লেবারের দখলে। তা ছাড়া তৃতীয় বিশ্বের মানুষ, অভিবাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, অশ্বেতাঙ্গ, কালো ও শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে লেবারের সমর্থক। এর কারণ লেবার পার্টির উদারনৈতিক ভাবনা এবং তৃতীয় বিশ্বের ব্যাপারে কিছুটা অনুরাগ। তাদের ধর্মনীতিও উগ্র বা রক্ষণশীল নয়। গতানুগতিক পুঁজিবাদী চিন্তার বাইরে লেবার পার্টির কিছুটা সাম্যবাদী ধারণা অধিকতর গণছোঁয়া পায়। অবশ্য লেবার পার্টির সব চিন্তা, কর্মসূচি ও নীতি নিঃশর্ত সমর্থন পেতে পারে না। যেমন সমকামীদের ব্যাপার লেবার পার্টির অবস্থান বিতর্কিত। সাদিকের জন্ম ১৯৭০ সালে লন্ডনে। তিনি জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। তার বেড়ে ওঠা, অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে সাধারণ স্তর থেকে আজকের কাতারে পৌঁছে দিয়েছে। তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদও আইনজীবী। আনিসা ও আম্মারা তাদের দুই কন্যা সন্তান। আমেরিকায় রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে ইসলাম নিষিদ্ধ করে মসজিদে তালা ঝোলাতে চান এবং মুসলিম তাড়ানোর কথা বলেন। তখন লন্ডনে সাদিকের বিজয় এই উগ্রতার একধরনের প্রতীকী প্রতিবাদও বটে। আমাদের দ্বিতীয় দৃষ্টান্তটিও ইউরোপ থেকে নেয়া। মেষ শাবকের সাথে বেড়ে ওঠা মরক্কোর সেই রাখাল কন্যাটি এখন ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী। একসময় ‘নজত’ নামের ছোট্ট মেয়েটি মাঠে ভেড়া চরাতেন। মেয়েটির পুরো নাম নজত বেল কাসেম। জন্ম ১৯৭৭ সালে। মরক্কোর সাধারণ ও গরিব মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া নজত নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেলেন অনেক পরে। বাবা ছিলেন নির্মাণকর্মী। তাই আয় ছিল সামান্য। সেই সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন তার বাবা। পড়াশোনার সুযোগ ছিল সীমিত; কিন্তু নজতের জেদ ছিল, পড়াশোনা তাকে করতেই হবে। সারা দিন মাঠে ভেড়া চরিয়ে তাকে সময় পার করতে হতো। তদুপরি সন্ধ্যায় বেরোতে হতো মায়ের সাথে দুধ বিক্রি করতে। বাড়ি ফেরা হতো রাতে। তবে রাজ্যের ক্লান্তি ও শ্রান্তি নিয়েও নজত মনোযোগ দিতেন পড়াশোনায়। একসময় বাড়তি আয়ের ভার এবং সংসার চালানোর দায় নিয়ে নজতের বাবা চলে যান ফ্রান্সে। কিছু দিন পর পরিবারকেও সেখানে নিয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে পড়াশোনা থামেনি নজতের। ২০০২ সালে প্যারিস ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ থেকে নজত স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি সোস্যালিস্ট পার্টির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন এবং এ পার্টিতে যোগ দেন। জীবন সংগ্রামী নজতের কাছে পরিশ্রম ও দারিদ্র্য খুব পরিচিত। স্বভাবতই তাদের মতো গরিব পরিবারগুলোর জন্য লড়াই করাকে তিনি দায়িত্ব ভাবলেন। নজত একই সাথে লড়াই করেছেন বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিভেদের বিরুদ্ধে। মেধা, অধ্যবসায় ও সক্রিয় ভূমিকা নজতকে ধীরে ধীরে ফ্রান্সের রাজনীতিতে অন্যতম পরিচিত মুখ করে তোলে। ২০০৮ সালে নজত রোন আল্পাইন এলাকা থেকে কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচিত হন। তারপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। নিজের যোগ্যতা ও টিকে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টা তাকে সাহায্য করেছে। তিনি নির্বাচনে কয়েকবার পরপর জিতে এসেছেন। এখান থেকেই ফরাসি রাজনীতির জগতে নজতের সাফল্যের সিঁড়ি ভাঙা শুরু। নজত ২০১২ সালে ফ্রান্সের নারী অধিকার মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে সাফল্য প্রদর্শন করেছেন। এমনকি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের মুখপাত্রও নিযুক্ত হন। কর্তব্যনিষ্ঠা ও দক্ষতার কারণে ২০১৫ সালে নজতকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ওঁলাদ। নজত নিজেকে ‘কাজপাগল’ হিসেবেই শুধু প্রতিষ্ঠা করেননি, তার যোগ্যতা ও দক্ষতার সুনাম সবার কাছে স্বীকৃত। প্রথমত, নজত একজন নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করে মানুষ হিসেবে দেখেছেন। মানবিক যোগ্যতা তাকে সামনে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে নৈতিক শক্তি ও মানবিক গুণাবলি। সাদিক ও নজতরা সময়ের সাহসী সন্তান। তারা শুধু নিজেরা পরিচিত হন না, তাদের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা পায়। এর সুফল ভোগ করে তাদের জাতি। প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মোকাবেলা করেই তারা দাঁড়িয়ে যান। তারা টিকে থাকেন প্রতিকূলতাকে জয় করেই। প্রান্তিক চিন্তার ওপর মানবতাবাদ, দক্ষতা-যোগ্যতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা- এভাবেই সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধারায় জায়গা করে নেন। সাদিক খানরা হয়ে ওঠেন উপমা। নজতরা দেখাতে পারেন বহু প্রতিকূলতার মধ্যেও যোগ্যতার সাথে টিকে থাকার দৃষ্টান্ত। হতে পারেন অন্যদের অনুপ্রেরণা। জাতীয় রাজনীতির মূলধারায় উঠে না এলে নজত কিংবা সাদিকরা সময়ের আবর্তে হাবুডুবু খেতেন। আগ্রাসী প্রচারণা ও সন্ত্রাসী তকমা পরিয়ে দেয়ার প্রবণতা রুখে দিতে পারতেন না। নতুন প্রজন্মের সামনে পথ চলার রাস্তা একটিই; তাদের বিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। যোগ্যতাকে এতটা শাণিত করতে হবেÑ যাতে নিয়তি এসে ‘সালাম ঠুকতে’ বাধ্য হয়। মূলধারায় উঠে আসার পথ আগলে দাঁড়ানোর মতো দুর্মতি ও দুঃসাহস যেন কারো না থাকে। তবেই সাদিক ও নজতের মতো রোলমডেল হওয়া সম্ভব হবে। ‘ডটার অব অ্যানাদার ওয়ে’ নামে একটি বই পড়েছিলাম। পশ্চিমা জগতের বিদুষী নারীদের বিশ্বাসী হয়ে ওঠার কাহিনী তুলে ধরেছেন একজন মা। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না; কিন্তু বিশ্বাসী হয়ে ওঠার নজিরগুলো তাকে ভাবিয়েছে। সেটাই তার জীবনবোধ পাল্টাতে সাহায্য করেছে। তিনি সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছেন- তাদের সুশিক্ষিত কন্যারা ভুল করেননি। আমরাও সান্ত্বনা খুঁজে পেতে চাই, আমাদের নতুন প্রজন্ম সব ধরনের প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে পথ চলতে গিয়ে হঠকারিতার মতো ভুল করবে না। [email protected] পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 01 Jun, 2016 নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট: নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ নির্বাচিত কলাম নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন কলাম মাসুদ মজুমদার [email protected] নারায়ণগঞ্জবাসী ভুল করেননি তো! 01 June 2016, Wednesday শ্যামল কান্তি ভক্ত, একজন শিক্ষক। যত অভিযোগ থাকুক, তার এই পরিচিতিটি শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তার পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটিও ইতিবাচক। এই সরকারের আমলে সিভিল সার্ভেন্টস, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোক দলীয় ক্যাডারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। কোনো কোনো ঘটনা অনেকে বিবেচনায়ও নেননি। শ্যামল কান্তি ভক্ত সে তুলনায় ভাগ্যবান; ব্যতিক্রমী প্রচার পেলেন। সহমর্মিতাও পেয়েছেন প্রচুর। এটা কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ‘নিগৃহীত’ হওয়ার কারণে! সংখ্যাগুরুদের গ্রাস থেকে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সবার সচেষ্ট থাকা উচিত। অবশ্য বাংলাদেশী পরিচিতির ভেতর গুরু-লঘু ভাবনা না থাকাই উত্তম। কয়েকটি মিডিয়া ও শ্রেণীবিভক্ত সুশীলসমাজের একটা অংশ যুক্তিহীন কিন্তু দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতিক্রিয়া ছিল শীতল এবং আলাদা ধরনের। অভিযুক্ত সেলিম ওসমান অচেনা মানুষ নন। তিনি যতটা না রাজনীতিবিদ তার চেয়ে ঢের বেশি ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক ঐতিহ্যগত ও কৌশলের। সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং কয়েকজন মন্ত্রী সেলিম ওসমানের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তবে কেউ তাকে ‘গড ফাদার’ বলেননি। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগসম্পৃক্ত সব নেতা কেন্দ্রের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা মন্ত্রীদের সাথে সুর মেলাননি, বরং সেলিম ওসমানকেই জোরালো সমর্থন দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির ওপর অপ্রতিহত প্রভাব সৃষ্টি করেছেন। শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন নামে ও ব্যানারে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন চলেছে। এতে সরকারি দলের সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরও সেলিম ওসমানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। বিএনপিসহ স্থানীয় সব বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা কেউ চুপ থেকেছেন; যারা মুখ খুলেছেন তারা কেউ শ্যামল কান্তি ভক্তকে সমর্থন জোগাননি। বরং নারায়ণগঞ্জবাসীর ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে ভক্ত বাবুর বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ছাড়াও হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা কম-বেশি সেলিমের পক্ষে যায় এমন সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকেও কর্মসূচি পালন করেছেন। সেলিম ওসমানের দুঃখ প্রকাশের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে এবার যে চরিত্রটি দেখা গেল, তার কারণ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ না ওসমান পরিবারের একাধিপত্যের ফসল, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে। বাংলাদেশের মানুষের মনমননে শ্যামলবিদ্বেষ স্বাভাবিক নয়। সাধারণ মানুষের ক্ষোভটা একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল ধর্মের ব্যাপারে কটূক্তিকারী একজন মানুষের বিরুদ্ধে। শ্যামল কান্তি হিন্দু হয়ে ইসলামের ব্যাপারে অবজ্ঞা প্রদর্শনের অভিযোগ স্থানীয় মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তা ছাড়া শ্যামল বাবু শিশুছাত্র পিটিয়ে নিজেকে নিষ্ঠুর ও ভারসাম্যহীন শিক্ষক বলে প্রমাণ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভটা অসঙ্গত ছিল না। এ ধরনের ক্ষোভ কোনো রাজনীতিবিদ সহজে ব্যবহার করার সুযোগ নিলে আলাদা কথা। নারায়ণগঞ্জবাসী কোনো ভুল করেছেন বলে মনে হয় না। এখন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ সংখ্যালঘুদের একটি অংশের অতি উৎসাহ, সংখ্যাগুরুদের ওপর খবরদারি করার প্রবণতা এবং আপার হ্যান্ডে থাকার অবস্থাটাকে স্বাভাবিক মনে করছেন না। এটাকে সংখ্যানুপাত ও ডেমোগ্রাফির ব্যত্যয় ভাবছেন। এ জন্য ভারতের ও বাংলাদেশের শাসকদের নীতিগত অবস্থান ও ভোট ব্যাংকের রাজনীতি দায়ী কিনা সেটাও মূল্যায়নের দাবি রাখে। তবে এ জন্য দু’দেশেরই জনগণ দায়মুক্ত। উল্লেখ্য, ১৩ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করান সেলিম ওসমান। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইসলামধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তোলা হয়। অমানবিকভাবে ছাত্র পেটানোর জন্যও এই শিক্ষক অভিযুক্ত। কয়েকজন ছাত্র ভক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ভিন্ন বক্তব্য মেলে। চাকরিচ্যুত শ্যামল কান্তি ভক্তকে পুনর্বহাল করেছে মন্ত্রণালয়। স্কুল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার দায়ও নিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ন্যায়সঙ্গত বিচারেও গেল না, নারায়ণগঞ্জবাসীর সংবেদনশীল মনের তোয়াক্কাও করল না। মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী এতটা ক্ষিপ্রতার সাথে সিদ্ধান্ত চাপালেনÑ যা রীতিমতো বিস্ময়কর এবং অতি উৎসাহ দেখানোর দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। আদালত স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাকে দায়সারা বলেছেন। অথচ প্রশাসন জনগণের স্বার্থে স্বচ্ছ হতে পারত। বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক ভাবনাতাড়িত নন, তবে সম্প্রদায়সচেতন। বিশেষত নিজে ধর্ম পালন না করলেও ধর্মবিদ্বেষ মানুষ পছন্দ করে না। নারায়ণগঞ্জ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। এ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কেউ ক্ষমতার আনুকূল্য ও আশকারা পেয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেললে তাকে সহ্য করার তেমন কোনো কারণ নেই। তার পরও ভোট ব্যাংকের রাজনীতি আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। এ রাজনীতি জাতির মনস্তাত্ত্বিক ভাবনাকে আহত করে; দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, গরিষ্ঠ মানুষকে বিব্রত করে। ১৪ দলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম একটি দৈনিককে বলেছেন, তার বক্তব্য দলের কেন্দ্রের। স্থানীয় রাজনীতি ও জনমত মোহাম্মদ নাসিম উপেক্ষা করেছেন। তিনি হয়তোবা একমুখো পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টি মাথায় রেখেছেন। ভারতের প্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করেছেন। ভোট ব্যাংকের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই সুর মিলিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীসহ আরো কয়েকজন সরকারদলীয় নেতা সেলিম ওসমানের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের বক্তব্য প্রান্তিক ও তাৎক্ষণিক। অনেকের বক্তব্য নারায়ণগঞ্জবাসীর অনুভূতিকে বিদ্রুপের কাছাকাছি নিয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষের চিরায়ত ভাবনাচিন্তা ও বিশ্বাসের সমান্তরাল নয়। যদি সমান্তরাল হতো, তাহলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সেলিম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনের সময় তার সাথে উপস্থিত থাকার কথা ছিল না। খোকন সাহা স্থানীয় রাজনীতির জটাজালে আটকে গেছেন, নাকি সংক্ষুব্ধ মানুষের হৃদস্পন্দন বুঝে ভূমিকা রেখেছেন, যা যথার্থ ভাবা যেতে পারে। এমনও ভাবার সুযোগ থাকে, ওসমান পরিবারের বাইরে অবস্থান নিয়ে তার টিকে থাকার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। এসব বিষয়-আশয় দলীয় নীতিনির্ধারকেরাই ভালো বুঝবেন। স্থানীয় অপরাপর প্রায় সব দলের নেতার অবস্থান ওসমান পরিবারের পক্ষে না হলেও শ্যামল কান্তি ভক্তের পক্ষে ছিল না। অনেক স্থানীয় নেতাই নারায়ণগঞ্জের বাস্তবতা, ভক্তের ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি’, ছাত্র পেটানো এবং ভারসাম্যহীন আচরণকে বিবেচনায় নেয়ার পক্ষে ছিলেন। তাদের চোখের ও মুখের ভাষা ছিল এমন- ইসলামধর্ম ওসমান পরিবারের পারিবারিক বিষয় নয়; সব মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে আক্রান্ত করার শামিল। তা ছাড়া শাস্তি দেয়া আর নির্মম আচরণ করা এক কথা নয়। তাই তারা নিজ নিজ দলের কেন্দ্রের অবস্থানকে, কিছু ‘সুশীল’ ও মিডিয়ার সমান্তরাল ভাবনা আমলে নেননি। প্রতিবাদ করাকে ন্যায়সঙ্গত ভেবেছেন। তারা এটাও মনে করেছেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্তে যাই বলা হোক, শ্যামল কান্তির কটূক্তির বিষয়টি অচিরেই স্পষ্ট হবে। তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুলও ভাঙবে। তখন রাজনীতি যা হওয়ার তা হয়ে যাবে। নারায়ণগঞ্জের পরিচিত মুখ মেয়র আইভি চুপ ছিলেন। আরেক পরিচিত মুখ বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার অবশ্য ভিন্ন সুরে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ও তার দল দু’টি বিষয়কে সমানভাবে নিন্দা করেন। তার বক্তব্য ঋজু, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে শ্যামল বাবু যেমন অন্যায় করেছেন, তেমনি তাকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে অন্যায় করেছেন সেলিম ওসমান। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, হেফাজতে ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন সেলিম ওসমানের পক্ষে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও অন্যান্য সংগঠন সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছে। স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্থানীয় নেতাদেরও সেলিম ওসমানের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বাস্তবে সেলিম ওসমানের বিপক্ষে নারায়ণগঞ্জে কোনো কথিত প্রগতিশীল নেতাকর্মী দাঁড়াননি কিংবা দাঁড়াতে পারেননি। সে তুলনায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ধর্মের ব্যাপারে কটাক্ষের অভিযোগে শ্যামল কান্তিবিরোধী প্রতিবাদী অবস্থান জনগণকে অধিকতর সম্পৃক্ত করেছে। সেলিম ওসমান বিলম্বিত বোধোদয় এবং দুঃখ প্রকাশের সাথে তার বিরুদ্ধে নিন্দাকারীদের স্বরূপ চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। এটা তার নৈতিক সাহস নাকি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, সেটা আলাদা মূল্যায়নের বিষয়। তবে তার দু’টি বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। মোহাম্মদ নাসিমকে তিনি শুধু কিছু অনিয়মের খোঁটা দেননি, ‘উপরের দিকে থুথু ছিটালে নিজের গায় মাখতে হয়’ এই প্রবচনটিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া তার ‘কোনো হিন্দুকে উঠবস করাননি; একজন নাস্তিককে প্রাপ্য শাস্তি দিয়েছেন’- এ বক্তব্যটিও বিবেচনার দাবি রাখে। শ্যামল কান্তি ভক্তকে নিয়ে একটি কেসস্টাডি হতে পারে। অবশ্য ৭ খুন, ত্বকী হত্যা এবং আইভি-শামীম নিয়েও কেসস্টাডি হতে পারত। এখন ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে, একজন শিক্ষক হয়ে শ্যামল বাবু ধর্মবিদ্বেষ ছড়াতে গেলেন কেন। পঞ্চম শ্রেণীর একজন ছাত্রের ওপর এতটা নিষ্ঠুর আচরণের কারণ কী। তার রাজনৈতিক রঙ কী। শ্যামল বাবু কেন কমিটির বিরাগভাজন হলেন। তিনি ভারসাম্যহীন (সেলিম ওসমানের ভাষায় তার ছেড়া) মানুষ- এটা কতটা সত্য। নারায়ণগঞ্জে বসবাস করে তিনি ওসমান পরিবারের প্রভাব ও ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করতে গেলেন কেন। মনে হয়, শ্যামল বাবু ভালো হিন্দুও নন। কখনো সেলিম ওসমান তার ‘দেবতা’, কখনো মন্ত্রী নাসিম তার ‘ভগবান’। একজন শিক্ষক কি করে এতটা মেরুদণ্ডহীন হতে পারেন। ভালো ঈশ্বরবাদীরও এমনটি করার কথা নয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু অন্য ধর্মকে মৌলিক ভাবেন না, আদি অকৃত্রিমও মনে করেন না, কিন্তু অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষও ছড়ান না। প্রকৃত ধর্মের চর্চা যারা করেন তারা সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদ লালন করেন না। ধর্মীয় অন্ধত্ব বা উন্মাদনা প্রকৃত ধার্মিকের মনে ঠাঁই পায় না। তাহলে কি ধরে নেয়া যায়, শ্যামল বাবু বাস্তবে ধর্মবিশ্বাসী মানুষই নন। পৃথিবীর কোনো কুলাঙ্গার ছাড়া, কোনো ধর্মের মানুষই ঈশ্বর গড ইলাহ ও আল্লাহ নামের সাথে অশালীন ও ধৃষ্ঠতাপূর্ণ মন্তব্য যোগ করে না। সবাই ভাবেন এটা মহান সৃষ্টিকর্তার নাম- যা বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের অংশ এবং সব ধর্মের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তা চূড়ান্ত ক্ষমতার মালিক ও পাক পবিত্রও। তাহলে শ্যামল বাবু কি সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কারো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হলেন! ওলামা লীগসহ কিছু সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে- বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পড়শি দেশের আনুকূল্যে, সরকারের ভোটব্যাংক রাজনীতির সুযোগে অনভিপ্রেত প্রাধান্য বিস্তারের সুযোগ নিচ্ছেন। আনুপাতিক সুবিধার চেয়ে কম যোগ্যতা নিয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের অনেক অতিরিক্ত ঠাটবাটও কারো কারো চোখ টাটাবার কারণ হয়ে যাচ্ছে। এ মূল্যায়ন কতটুকু বাস্তব সেটা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব সরকারের। তবে ডিইসলামাইজেশনের একটা প্রবাহ সৃষ্টির পশ্চিমা প্রেতের ছায়া পড়শি দেশ হয়ে বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের অজ্ঞাতেই হয়তো পাঠ্যসূচিতে মৌলিক পরিবর্তন হয়ে যেতে পারছে। এটা যদি কারো প্রেরণার উৎস হয়- তাহলে সেলিম ওসমানদের বক্তব্য অবশ্যই হালে পানি পাবে। এ দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না। যে দু’চারবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনো ইমাম-মোয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা কিংবা ধর্মপ্রাণ মানুষ সৃষ্টি করেননি। ধর্মীয় কোনো দলও এ ধরনের অপকর্ম করেনি। করেছে ক্ষমতার ছত্রছায়ায় যারা ভোট ব্যাংকের ফায়দা তোলে, তারা। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জমিজিরাত বেহাত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় কাদের ওপর বর্তায় সেটা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বক্তব্যে স্পষ্ট। সেলিম ওসমান শ্যামল বাবুর বিরুদ্ধে কিছু আর্থিক সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার দাবি তুলে ধরেছেন। ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা ও মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার আবদার বা আপস রফার দাবি সত্যি হলে চোখ ছানাবড়া হওয়ার মতো বিষয়। কোনো শিক্ষক কি তার আত্মমর্যাদা এভাবে বিকাবার কথা ভাবেন? এসব উপেক্ষা করলেও শ্যামল বাবুর ধর্ম অবমাননার অভিযোগের আইনি বিচার হতে পারত। কান ধরে ওঠবস করানো আইন প্রণেতা দাবিদারদের জন্য অশোভন এবং আইনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক ‘মালিশ’ দৃষ্টি এড়ায় না। এই দেশের নাম বাংলাদেশ। এটা পূর্ব বাংলার বনেদি ভূমির সাংবিধানিক নাম, রাষ্ট্রিক পরিচিতি। এখানে অসম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত ধর্মপ্রাণ মানুষেরা বাস করেন। এখানকার মানুষের রঙ, বর্ণ, ধরন ও পরিচিতি অন্য কোনো অঞ্চলের মতো নয়। এই রূপ, রঙ ও পরিচিতিটি বুঝতে হলে স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার মরহুম আবুল মনসুর আহমদের ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি’ পড়ার তাগিদ দেবো। সেখানে শুধু বাঙালি মুসলমানের মন খুঁজে পাওয়া যাবে না- এই জাতিরাষ্ট্রের আসল পরিচিতিও খুঁজে পাওয়া যাবে। আবিষ্কার করা যাবে এই জাতির আত্মাটিও। সম্ভবত এ কারণেই এখন শিক্ষাঙ্গনে সিলেবাসে আবুল মনসুরও জায়গা পান না; জানি না এর শেষ কোথায়, সেটা শাসকেরা আদৌ ভাবছেন কিনা। [email protected] উৎসঃ নয়া দিগন্ত পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য “অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়” অন্যান্য কলাম 02 Nov, 2016 রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে 26 Oct, 2016 জামায়াতের শত্রু-মিত্র ও সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতি 19 Oct, 2016 কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্ন 13 Oct, 2016 আমরা কেন শান্তির নোবেল পেলাম না 05 Oct, 2016 আগাম নির্বাচনের ফাঁদ না মুলা 28 Sep, 2016 জাভেদ মিয়াঁদাদ-আনন্দবাজারকে ধন্যবাদ 21 Sep, 2016 ‘জঙ্গিবাদ’ নিপাত যাচ্ছে না কেন? 15 Sep, 2016 সরকারের জিয়া ‘পুনর্বাসন’ প্রকল্প 07 Sep, 2016 কোরবানির পশু হলে কেমন হতো! 31 Aug, 2016 আতাতুর্ক থেকে এরদোগান 17 Aug, 2016 হুম্মাম ও আরমানের দায় কেন সরকার নেবে? 10 Aug, 2016 আইন থাকা যথেষ্ট নয় 03 Aug, 2016 গরুর চেয়ে মানুষের প্রাণের মূল্য কম! 20 Jul, 2016 জাকির নায়েকের চ্যালেঞ্জের কী হবে 13 Jul, 2016 জঙ্গি জন্ম নেয় না, সৃষ্টি করা হয় 03 Jul, 2016 দোহাই, ঈদ আনন্দ কেড়ে নেবেন না 30 Jun, 2016 স্মরণে বরণে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান 22 Jun, 2016 ধেয়ে আসছে রাজনৈতিক সাইক্লোন! 16 Jun, 2016 ‘কৃষ্ণসুন্দর’ আলী : চেনা মানুষের অজানা কথা 08 Jun, 2016 এই ভ্রূণ হত্যার দায় কার 25 May, 2016 বজ্রপাত : বিশ্বাসের ‘গজব’, বিজ্ঞানের ‘বিপর্যয়’ 18 May, 2016 জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে! 10 May, 2016 একজন সাদিক খান ও নজতের কাহিনী 27 Apr, 2016 তালেয়া রেহমান ও মাহমুদা বেগম কতটুকু সত্য বললেন 20 Apr, 2016 চরমপন্থা ও পন্থী দুটোই ক্ষতিকর Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:আন্তর্জাতিক Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> আন্তর্জাতিক জার্মানিতে ‘মুসলমানদের হাসিমুখ’ শীর্ষক প্রদর্শনী 06 November 2016, Sunday জার্মানির ‘টুবিঙ্গেন’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম ডিসেম্বরে আমেরিকা ও জার্মানের মুসলমানদের আনন্দঘন ও উৎসবমুখর সময়ের বিভিন্ন চিত্রের আলোকে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমেরিকা-জার্মান রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রচেষ্টায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ‘আরো একবার ইসলামের চেহারা’ শিরোনামে প্রদর্শনীতে আমেরিকা ও জার্মান মুসলমানদের আনন্ বিস্তারিত >> সংবাদ শিরোনাম >> আন্তর্জাতিক মন্দিরে পূজা দিলেন ট্রাম্পপুত্র চিকিৎসার খরচের কথা শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলো রোগী ‘মুসলিম বিশ্বকে দুর্বল করতে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করছে ইসরাইল’ ভোটের আগে স্বস্তি হিলারি শিবিরে ভারতকে ভাতে মারতে চায় পাকিস্তান দিল্লিতে নিখোঁজ মুসলিম ছাত্রের মা লাঞ্ছিত, নাজিবের বোনসহ শ’‌দুয়েক আটক হিলারির ই-মেইলে বেআইনি কিছু পাওয়া যায়নি : এফবিআই ফ্যাক্টর লাতিনো ভোট ফ্যাক্টর লাতিনো ভোট হাজরে আসওয়াদে চুমুর সুযোগ পাচ্ছে নারীরা 06 November 2016, Sunday হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়া যেখানে পুরুষের জন্য সুকঠিন সেখানে নারীদের চুমু দেওয়ার চিন্তা করা বেশ জটিলও বটে। এ বিষয়টার প্রতি লক্ষ্য রেখে সৌদি আরবের শূরা কাউন্সিল নারীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের চিন্তা-ভাবনা করছেন বিস্তারিত >> হিলারিকে সুখবর দিলেন ডেমোক্র্যাট-বান্ধব ল্যাটিনোরা 06 November 2016, Sunday মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ল্যাটিনো ভোটারের সংখ্যা সেদেশের অন্যান্য গোষ্ঠীর চেয়ে যদিও কম, কিন্তু এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনার মতো তিনটি 'ব্যাটল গ্রাউন্ড' রাজ্যে বিস্তারিত >> ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করলো পাকিস্তানের এক ছাত্রী 06 November 2016, Sunday স্বল্পসময়ের মধ্যে পুরো কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করে রেকর্ড গড়লেন পাকিস্তানের এক মেধাবী ছাত্রী। তিনি মাত্র ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। তার নাম জুয়াইরিয়া। পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের গাজিয়া বিস্তারিত >> যে কারণে চাইনিজদের ইংরেজি খারাপ 06 November 2016, Sunday ভুল ইংরেজি বলাতে চীনাদের জুড়ি মেলা ভার। এ কথা মার্কেটে বেশ প্রচলিত আছে যে, চীনাদের ইংরেজি শেখাটা এভারেস্ট জয়েরই মত কঠিন। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই চীনাদের দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলেও দেখা যায়, উচ্চ শিক্ষিত চীনা নাগ বিস্তারিত >> যখন বন্ধু ছিলেন 06 November 2016, Sunday হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন যেন দু'জন দু'জনের বড় শত্রু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান দু'দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির এই দুই প্রার্থী প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একজন আরেকজনের বিস্তারিত >> মমতার মত বদল, বাড়ি বদল করবেন না 06 November 2016, Sunday পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে ৩৪বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের টালির বাড়ির করুণ অবস্থা সত্ত্বেও তিনি বাড়ি বদল নিয়ে মত পাল্টে সেখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ বাড়িটির ভগ্নদশার কারণ বিস্তারিত >> শিক্ষিকাদের বিকৃত যৌনতার শিকার নার্সারির ছাত্রী 06 November 2016, Sunday ভারতের পাটনার এক নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই স্কুলের নার্সারিতে পড়ুয়া ৫ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দিন কয়েক আগে ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ বিস্তারিত >> হিলারি জিতবেন, বললেন হিনা রব্বানি 06 November 2016, Sunday ‘হিলারি ক্লিনটন যেহেতু বেশি অভিজ্ঞ, উপযুক্ত ও সচেতন প্রার্থী, সুতরাং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই জয় লাভ করবেন। আর তার জয় হলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও জয় হবে।’ এমন কথাই বলেছ বিস্তারিত >> হিলারিকে দজ্জাল মনে করেন এফবিআই-এর কর্মীরা! 06 November 2016, Sunday হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর অভ্যন্তরে চরম বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব বিরাজ করছে। এফবিআই-এর অনেক কর্মী হিলারিকে দজ্জাল বলে মনে করেন। এফবিআই-এর সাবেক ও বর্তমান বেশ কয় বিস্তারিত >> পাকিস্তানি পতাকা উড়ালেন এক ভারতীয় নাগরিক 06 November 2016, Sunday ভারতের উত্তরপ্রদেশে বাড়ির ছাদে পাকিস্তানি পতাকা উড়িয়ে গ্রেফতার হলেন এক ভারতীয় শিখ নাগরিক। তিনি বিদ্যুত বিল বেশি আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির ছাদে পাকিস্তানি পতাকা উড়িয়ে দেন। ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কানপুরের বিস্তারিত >> যে কারণে ইসলামের ছায়াতলে তিন রুশ নারী 06 November 2016, Sunday রাশিয়ায় কমিউনিজমের অধীনে ঈশ্বরের ধারণা গত সাত দশক ধরে অনুমোদন করা হয়নি। তারপরেও সেখানে দ্রুত ধর্মীয় নবজাগরণ প্রত্যক্ষ হয়ে আসছে। দেশটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক ইসলামের মাঝে মনের শান্তি খুঁজে পেয়েছেন। দেশটির সংখ্য বিস্তারিত >> পরকীয়া: ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে ভারতে, জুটিরা ছুটছে থেরাপিস্টের কাছে 06 November 2016, Sunday পরিস্থিতিটা বদলে যাচ্ছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার হার বেড়ে গেছে। আগে সাধারণত স্বামী-স্ত্রী বিয়ে বিষয়ক থেরাপিস্টের কাছে ছুটতেন। কিন্তু এখন কোনো পুরুষের সঙ্গে অন্যের স্ত্রী বা কার বিস্তারিত >> এনডিটিভি’র পর এবার ‘নিউজ টাইম অসম’ চ্যানেলে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা 06 November 2016, Sunday ভারতে এনডিটিভি’র পরে এবার ‘নিউজ টাইম অসম’ টিভি চ্যানেলের ওপর এক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর একদিনের জন্য ওই চ্যানেল বন্ধ রাখতে হবে। বিস্তারিত >> কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে ফের ভারতীয় সেনা নিহত 06 November 2016, Sunday ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আরও এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে পুঁচ জেলার কৃষ্ণ ঘাটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানি সেনারা বি বিস্তারিত >> একেই বলে ভারতীয় কূটনীতি! 06 November 2016, Sunday ব্রিটিশ প্রধান থেরেসা মে’কে দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার দীনেশ পাটনায়েক সাফ বলে দিয়েছেন, তার দেশ থেকে আরো ভারতীয় অভিবাসী নিতে হবে এবং ব্রিটেন যে ভারতীয় আম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তা প্রত্যাহার করে বিস্তারিত >> একুশ শতকের ‘সুপার মুন’ দেখা যাবে ১৪ নভেম্বর! 06 November 2016, Sunday ১৪ নভেম্বরে দেখা যাবে এই একুশ শতকের ‘সুপার মুন’কে। এদিন সবচেয়ে বড় আর উজ্জ্বলতম চাঁদটিকে দেখা যাবে আকাশে। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে। এত কাছে টেনে চাঁদকে আর এতটা আপন করবে না আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহ, এই একুশ শতকে! সুপার বিস্তারিত >> ভারত আমার বাড়ি : তসলিমা নাসরিন 06 November 2016, Sunday বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছেন, ভারত তার বাড়ি, তার দেশ। বাকি জীবন সেখানে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, রোববার গোয়ায় এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন বিস্তারিত >> ‘বাঁচতে চাইলে আত্মসমর্পণ’ আইএস যোদ্ধাদের প্রতি ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান 06 November 2016, Sunday বাঁচতে চাইলে মসুলে লড়াইরত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। মসুলের পূর্ব দিকের রণক্ষেত্র পরিদর্শনের পর শনিবার এক সংবাদ বিস্তারিত >> একক বাজার সুবিধা না পেলে ব্রেক্সিট আটকে দেবে লেবার দল 06 November 2016, Sunday বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সরকারকে এবার নতুন করে এক হুমকি দিলেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, যদি তেরেসা মে’র সরকার একক বাজার সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ জন তাহলে তার দল ইউরোপীয় ইউনি বিস্তারিত >> ইলেক্টোরাল ভোটের ফাঁদে হিলারি ও ট্রাম্প 06 November 2016, Sunday যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে আর দুদিন পর। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। প্রেসিডেন্ট পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলা বিস্তারিত >> যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাচ্ছে ১ ঘন্টা 06 November 2016, Sunday দিনের আলোকে কাজে লাগাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকার ঘড়ির কাঁটা ৮ মার্চ রোববার ভোর রাত ২টার সময় এক ঘন্টা এগিয়ে যায় অর্থাৎ ৩টা বাজাতে হয়। তখন থেকে শুরু হয় ‘ডে লাইট সেভিংস টাইম এবং তা শেষ হয় নভেম বিস্তারিত >> « পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ » Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:যানজটে শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভোগে ৭৩% মানুষ Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> পরিবেশ যানজটে শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভোগে ৭৩% মানুষ 26 Jan, 2016 যানজটে আটকে থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় ঘণ্টা সময় অপচয় হচ্ছে রাজধানীবাসীর। এতে আর্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই, পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সমস্যায়ও ভুগছেন অনেকে। এর মধ্যে যাত্রী যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন গাড়িচালকও। আবার নিয়মিত যানজটে আটকে থাকার কারণে দীর্ঘস্থায়ী রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। ফলে ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে যানজট। যানজটের কারণ ও প্রভাব নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) ও নর্দান ইউনিভার্সিটি একটি যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় কানাডিয়ান সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশনের জার্নাল অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটিতে। তাতে উঠে এসেছে যানজটে স্বাস্থ্যঝুঁকির এ তথ্য। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়ির ধোঁয়ায় থাকা বস্তুকণা ও সালফার-ডাইঅক্সাইড ফুসফুস, কিডনি জটিলতা ও হূদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হূদযন্ত্রের প্রদাহ, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করছে বাতাসে থাকা মাত্রাতিরিক্ত নাইট্রোজেন-ডাইঅক্সাইড ও সিসা। সমীক্ষার তথ্যমতে, ঢাকা শহরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। এর প্রায় ৭৬ শতাংশই নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এতে ঢাকাবাসীর সময় ব্যয় হয় দৈনিক গড়ে ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। এর মধ্যে যানজটে আটকে থেকে নষ্ট হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা। যানজটে আটকে থেকে ৭৩ শতাংশ মানুষই নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে সাত ধরনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন তারা। এগুলো হলো— শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, মাথাব্যথা, মানসিক চাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তি ও চোখের সমস্যা। এর বাইরে শ্বাসনালির সমস্যা, হূদযন্ত্রের সমস্যা, জ্বর, অ্যালার্জি, বদহজম ও বমির সমস্যাও রয়েছে। যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় শ্বাসপ্রশ্বাসে। ২৬ শতাংশ যাত্রী এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। এর পর রয়েছে মাথাব্যথা, যাতে ভুগতে হয় ২০ শতাংশ যাত্রীকে। এছাড়া ১৫ শতাংশ মানুষ মানসিক চাপ, ১২ শতাংশ শ্রবণশক্তি হ্রাস, ১২ শতাংশ অতিরিক্ত ঘাম, ৯ শতাংশ ক্লান্তি ও ৬ শতাংশ চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হয় যানজটের কারণে। এসব সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রভাবও তুলে আনা হয়েছে সমীক্ষায়। এতে বলা হয়েছে, এসব সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ায় কর্মজীবী মানুষের কাজের প্রতি অনীহা জন্মায়। এতে কর্মীদের উত্পাদনশীলতা হ্রাস পায়, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে যানজটের কারণে গাড়িচালকদের কর্মঘণ্টার প্রায় ২৫ শতাংশ অপচয় হচ্ছে। এতে পথের মধ্যে বসে থেকে ৩০ শতাংশ চালক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তিন ধরনের সমস্যা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি। এগুলো হলো— মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা ও অতিরিক্ত ঘাম। ফলে চালকদের অর্ধেকই মাথাব্যথায় ভুগছেন। জানতে চাইলে সমীক্ষা পরিচালনাকারী দলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহকারী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বণিক বার্তাকে বলেন, যানজটে আটকে থাকা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ জরিপ চালানো হয়। প্রায় এক বছর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ জরিপ চলে। পাশাপাশি উল্লিখিত রোগের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সা নেয়া রোগী ও সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকদের মতামত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে ইকোনমেট্রিক মডেল তৈরি করা হয়। আর প্রাপ্ত ফলাফল তুলনা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মান ও তথ্যের সঙ্গে। যানজটে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বেশকিছু কারণ উঠে এসেছে সমীক্ষায়। এতে বলা হয়েছে, যানজটে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় ভোগেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরা। দুদিকে খাঁচার মতো দরজা ও পুরোটা আবদ্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন এ বাহনের যাত্রীরা। এছাড়া যানজটে আটকে থাকা যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ায়ও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মূল কারণ, যানজটে বিভিন্ন যানবাহন চালু রাখা। এছাড়া প্রচণ্ড গরম, যানবাহনের বিশেষত বাসের ত্রুটিপূর্ণ জানালা, ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকাও যাত্রীদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার অন্যতম কারণ। এ ধরনের পরিস্থিতি অতিরিক্ত ঘাম, বদহজম ও বমির উদ্রেক করে। আর যানবাহনের কালো ধোঁয়া যাত্রীদের চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে। নিয়মিত যানজটে আটকে থাকা রোগীদের মধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও দেখা যায়। আবার যানজটের কারণে অনেকেই কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরি করেন। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসই দেরিতে কর্মস্থলে পৌঁছানো মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি। আর যানজটে বিভিন্ন যানবাহন অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজাতে শুরু করে। এতে উচ্চ শব্দে অনেকে মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। এছাড়া নিয়মিত ও লম্বা সময় যানজটে আটকে থাকা ক্লান্তিরও অন্যতম কারণ। এদিকে সপ্তাহে পাঁচদিন ও দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে গাড়ি চালান এমন চালকরা বেশি মাথাব্যথায় ভোগেন। মূলত হর্নের উচ্চ শব্দ এর কারণ। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রাশিদুল হাসান বলেন, যানজট ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ধুলোবালি তো আছেই। এতে দেশে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেড় দশক আগে এ ধরনের রোগীদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ ইনহেলার ব্যবহার করত। এখন সে হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশে। অর্থাত্ বায়ুদূষণের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে জনস্বাস্থ্যে। পাশাপাশি অন্যান্য রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। দ্রুত যানজটকে সহনীয় মাত্রায় আনা না গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। উৎসঃ বনিক বার্তা প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 23 Sep, 2016 বুড়িগঙ্গায় ডলফিন 24 Aug, 2016 বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প, আতঙ্ক 20 May, 2016 কতটা শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু? 18 May, 2016 ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ >> দেশ পরিণত হবে মরুভূমিতে 14 May, 2016 বজ্রাঘাত নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা 02 May, 2016 কালও বৃষ্টি হতে পারে 27 Apr, 2016 উজানে ভারতের একতরফা বাঁধ নির্মাণ, হারিয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের অধিকাংশ নদী 17 Apr, 2016 বিশ্বজুড়ে ঘনঘন ভূমিকম্প, বড় কম্পনের হুঁশিয়ারি শীর্ষ বিজ্ঞানীর 17 Apr, 2016 উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা 16 Apr, 2016 চারটি তীব্র ভূমিকম্পের আশঙ্কা 22 Mar, 2016 পানি সংকটের ভয়াবহতা বাড়ছে 17 Mar, 2016 যমুনায় হাঁটুজল 23 Feb, 2016 তলিয়ে যাবে ঢাকা-কলকাতা-চট্টগ্রাম! 05 Feb, 2016 তিস্তার সব পানিই নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, এদেশে এখন শুধু বালুচর 29 Jan, 2016 পঞ্চগড়ের পথে পথে গোলাপি-বেগুনি রডোডেন্ড্রনের বাহার 05 Jan, 2016 ২৬ মের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আসছে? 03 Dec, 2015 ফের সুন্দরবন বিপর্যয়ের শঙ্কা : ৭৪৫ টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে চরে আটকা এমভি শোভন 10 Nov, 2015 কৃষির হুমকি আফ্রিকান শামুক 13 Sep, 2015 ৮০০ বাঁধ তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে! 08 Sep, 2015 মানুষকে ছায়া দেওয়াই যাঁর নেশা 02 Sep, 2015 শুক্রবার থেকে আরো বৃষ্টি! 24 Aug, 2015 ভিডিও >> মরুকরণের দিকে যাচ্ছে ঢাকা! 22 Aug, 2015 এক্সক্লুসিভ ভিডিও >> বিমানের উপর বজ্রপাত পড়লো যেভাবে 14 Aug, 2015 সালফারে ভারী হয়ে উঠছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাতাস 31 Jul, 2015 ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’: নামকরণের নেপথ্যে 30 Jul, 2015 ঝড়ের তীব্র বেগে উড়ে গেলো মানুষ! 30 Jul, 2015 ভিডিও >> টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে ‘কোমেন’ 29 Jul, 2015 সাগরে গভীর নিম্নচাপ>>৩-৪ ফ‍ুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা;আতঙ্কে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ 23 Jul, 2015 ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প >> ভয়াবহ বিপর্যয় আসবে বাংলাদেশে 19 Jul, 2015 নতুন এক পৃথিবীর ইঙ্গিত! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2
বিডিটুডে.নেট:ঝড়ের তীব্র বেগে উড়ে গেলো মানুষ! Write to Editor: [email protected] RSS English Version , ২৩ কার্তিক ১৪২৩; ; হোম সংবাদ সংবাদ নির্বাচিত কলাম ভিডিও নিউজ টুডে ব্লগ সাপ্তাহিকী ব্লগ সাক্ষাৎকার কার্টুন মতামত ফিচার দিনের উক্তি উচ্চ শিক্ষা আর্কাইভ রাজনীতি জাতীয় মহানগর ব্যবসা বিনোদন খেলা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাহিত্য স্বাস্থ্য ক্যাম্পাস পরিবেশ ধর্ম কিডস টিভি নিউজ টকশো ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব ভিডিও কার্টুন (বহির্বিশ্ব) কার্টুন সংবাদ >> পরিবেশ ঝড়ের তীব্র বেগে উড়ে গেলো মানুষ! 30 Jul, 2015 ঝড়ের তাণ্ডবে ফাটল ধরেছে গাছে। দেগঙ্গায় সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি। পঞ্চাশ বছর বয়সে এসে বুঝলাম, ওড়া কাকে বলে! চাষার বেটা। নিজেও চাষি। বিমানে চড়ব, সে সঙ্গতি নেই। কিন্তু বুধবার বিমান ছাড়াই উড়লাম। বলা ভাল, উড়িয়ে নিল। পাগলা একটা ঝড়। মিনিটখানেকের সে উড়ানের পরে গায়ে এখনও কাঁটা দিচ্ছে! সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বাদলা দিন। কখনও জোরে, কখনও আস্তে বৃষ্টি পড়ছে। পড়েই চলেছে। কাজলা গ্রামের বাড়ি থেকে বড়জোর এক কিলোমিটার দূরে আমার জমি। সেখানে গিয়েছিলাম ধান রুইতে। আশেপাশের খেতে অনেকেই কাজ করছিল। বেলা ১১টা নাগাদ হঠাৎ বৃষ্টির জোর বাড়ল। মাথা তুলতে নজরে এল, কুচকুচে কালো আকাশের মাঝ বরাবর লালচে আভা। যেন আগুনের গোলা গিয়েছে। চোখ ফেরাতে পারিনি। মনে হল, যেন সমুদ্রে বুক-জলে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বুক-মাথা ডুবিয়ে ঢেউয়ের মতো হাওয়ার এক-একটা ঝাপটা যাচ্ছে। শরীর যেন ঢেউয়ের তলায় ডুবে রয়েছে। হাত-পা নাড়ানোর জো নেই। ঢেউ উঠছে নিজের খেয়ালখুশিতে। খেলা করছে আমাকে নিয়ে। দুলছি। ঢেউ যেমন দোলায়। মাথার উপর দিয়ে শনশনিয়ে কী সব যেন উড়ে যাচ্ছে। খড়-টিনের চাল, গাছের ডাল-পাতা, পাখির বাসা, কাপড়—আরও কত কী। ঘোর কাটল। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে ছুটলেও আমার বাড়ি পৌঁছতে মিনিট দশেক। বাড়িতে বউ, ছেলেমেয়ে আছে। আমার বেমক্কা কিছু হয়ে গেলে কে দেখবে ওদের? আর এ যা ঝড়, ওদেরও না জানি কী বিপদ হয়! হাওয়ার গোঙানি বাড়ছে। মনে হচ্ছে, কানের পর্দা ফাটিয়ে দেবে। হাতের নিড়ানি ফেলে এক ছুট। কিন্তু বাতাস যেন জগদ্দল ভারী। সামনের দিকে পা চলছে, মাটি পিছোচ্ছে না। দেখতে দেখতে পা মাটি ছাড়ল। ষাট কেজির কাছাকাছি ওজন আমার, উড়ছি! কান ভোঁ-ভোঁ করছে। মাটি কত নীচে, পাঁচ না পনেরো ফুট? জানি না! হাত-পা ছুড়ছি। এক রত্তিও এগোচ্ছি না! পা দিয়ে মাটি ছোঁয়ার চেষ্টা করছি। থই পাচ্ছি না! বেশ বুঝছি, ঝড় আমায় নিয়ে লোফালুফি খেলছে। কেউ কি দেখতেও পাচ্ছে না, একটা লোক বেমালুম উড়ে যাচ্ছে! অনেকক্ষণ, না অল্পক্ষণ? ঠাকুর-দেবতা যে যেখানে আছ, বাঁচাও! আর বোধ হয় বাড়ি ফেরা হল না! ফের একটা ঝাপটা। দমকা হাওয়া আমাকে উড়িয়ে নিয়ে এ বার বোধ হয় আছড়ে ফেলবে! ফেলল। পড়লাম নিজের খেতেই, জলের মধ্যে। ভাগ্যিস! তাই হাঁটু আর ঘাড়ে ছাড়া, তেমন চোট লাগেনি। তবে যেখানে ছিলাম, আর যেখানে পড়লাম— মাঝের দূরত্ব অনেকটাই। হাওয়ার জোর কমতে ফের ছুটেছি বাড়ির দিকে। পৌঁছে দেখি, পরিবার সুস্থ। তবে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। সেই ঝড়ে যাতে একটু আগে আমিও উড়েছিলাম। (আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে) প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন পাঠক মন্তব্য সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন কীবোর্ড নির্বাচন করুন: Bijoy UniJoy Phonetic English নাম (অবশ্যই দিতে হবে) ইমেইল (অবশ্যই দিতে হবে) ঠিকানা মন্তব্য "অবাঞ্চিত মতামত নিয়ন্ত্রনের জন্য সঞ্চালক কতৃক অনুমোদনের পর মতামত প্রকাশিত হয়" অন্যান্য সংবাদ 23 Sep, 2016 বুড়িগঙ্গায় ডলফিন 24 Aug, 2016 বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প, আতঙ্ক 20 May, 2016 কতটা শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু? 18 May, 2016 ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ >> দেশ পরিণত হবে মরুভূমিতে 14 May, 2016 বজ্রাঘাত নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা 02 May, 2016 কালও বৃষ্টি হতে পারে 27 Apr, 2016 উজানে ভারতের একতরফা বাঁধ নির্মাণ, হারিয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের অধিকাংশ নদী 17 Apr, 2016 বিশ্বজুড়ে ঘনঘন ভূমিকম্প, বড় কম্পনের হুঁশিয়ারি শীর্ষ বিজ্ঞানীর 17 Apr, 2016 উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা 16 Apr, 2016 চারটি তীব্র ভূমিকম্পের আশঙ্কা 22 Mar, 2016 পানি সংকটের ভয়াবহতা বাড়ছে 17 Mar, 2016 যমুনায় হাঁটুজল 23 Feb, 2016 তলিয়ে যাবে ঢাকা-কলকাতা-চট্টগ্রাম! 05 Feb, 2016 তিস্তার সব পানিই নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, এদেশে এখন শুধু বালুচর 29 Jan, 2016 পঞ্চগড়ের পথে পথে গোলাপি-বেগুনি রডোডেন্ড্রনের বাহার 26 Jan, 2016 যানজটে শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভোগে ৭৩% মানুষ 05 Jan, 2016 ২৬ মের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আসছে? 03 Dec, 2015 ফের সুন্দরবন বিপর্যয়ের শঙ্কা : ৭৪৫ টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে চরে আটকা এমভি শোভন 10 Nov, 2015 কৃষির হুমকি আফ্রিকান শামুক 13 Sep, 2015 ৮০০ বাঁধ তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে! 08 Sep, 2015 মানুষকে ছায়া দেওয়াই যাঁর নেশা 02 Sep, 2015 শুক্রবার থেকে আরো বৃষ্টি! 24 Aug, 2015 ভিডিও >> মরুকরণের দিকে যাচ্ছে ঢাকা! 22 Aug, 2015 এক্সক্লুসিভ ভিডিও >> বিমানের উপর বজ্রপাত পড়লো যেভাবে 14 Aug, 2015 সালফারে ভারী হয়ে উঠছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাতাস 31 Jul, 2015 ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’: নামকরণের নেপথ্যে 30 Jul, 2015 ভিডিও >> টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে ‘কোমেন’ 29 Jul, 2015 সাগরে গভীর নিম্নচাপ>>৩-৪ ফ‍ুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা;আতঙ্কে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ 23 Jul, 2015 ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প >> ভয়াবহ বিপর্যয় আসবে বাংলাদেশে 19 Jul, 2015 নতুন এক পৃথিবীর ইঙ্গিত! Write to Editor: [email protected] All contents copyright © BD Today. All rights reserved. X
source: https://huggingface.co/datasets/HPLT/hplt_monolingual_v1_2