news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/08/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a7%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%aa%e0%a6%a5-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ae%e0%a7%87/ | নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র আইভীর শপথ বুধবার | আগামীকাল শপথ নেবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও ওই সিটির নবনির্বাচিত ২৭ জন কাউন্সিলর এবং ৯ জন মহিলা কাউন্সিলর। বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন এবং ভার্চুয়ালি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। অন্যদিকে সশরীরে উপস্থিত থেকে কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গত ২২ ডিসেম্বর ভোট শেষে নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানাসহ ২৮ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শপথ আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের এ-সংক্রান্ত আমন্ত্রণপত্র পাঠান স্থানীয় সরকারসচিব আবদুল মালেক। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হোন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক নিয়ে পান ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। আইভী ৬৬ হাজার ৫৩৫ ভোটের ব্যবধানে তৈমূর আলম খন্দকারকে পরাজিত করেছেন। ২০১১ সালে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করেন। পরের বার ২০১৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরাজিত করেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে। সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন আইভী। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন (এখন পৌর মেয়র বলা হয়)। সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দুবার নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও কদম রসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। | আইভী,মেয়র,শপথ | ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/04/05/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9b%e0%a7%9f/ | শাহজালাল বিমানবন্দরে ছয় হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক | হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা আনুমানিক ৬ হাজার পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) নিয়মিত টহল চলাকালীন সময়ে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টের সামনে সাদ্দাম হোসেন (১৫) এবং মো. আমিন (১৪) নামের দুই ব্যক্তিকে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে দেখে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের একটি টহল দলের সন্দেহ হয়। তাদেরকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকেন। সন্দেহ আরো ঘনীভূত হলে তাদেরকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর তাদের দুইজনের জিম্মা হতে আনুমানিক ৬ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন। সাদ্দামের পিতার নাম মো. সেলিম এবং মো. আমিনের পিতার নাম সালাম বলে জানা যায়। তারা দুজনই টেকনাফে ২৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অধিবাসী বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা আরো জানান, ঢাকায় অবস্থানরত একজনের কাছে এসকল ইয়াবা হ্যান্ডওভার করতেন তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। | ইয়াবা,রোহিংঙ্গা,শাহজালাল,শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | শাহজালল বিমানবন্দরে দুই রোহিঙ্গার কাছ থেকে উদ্ধার করা ইয়াবা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/10/06/698508 | প্রায় ৭ মাস পর দলীয় কার্যালয়ে রিজভী | করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর আজ দলীয় কার্যালয়ে অফিস করছেন। এর আগে সর্বশেষ ১৬ মার্চ দলীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি। গত ১৬ মার্চ তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে দীর্ঘদিন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে দীর্ঘ সময় আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এরপর করোনামুক্ত হয়ে প্রায় দুই মাস পর হাসপাতাল থেকে গত ৯ মে বাসায় ফিরেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ | দলীয়, রিজভী | প্রায় ৭ মাস পর দলীয় কার্যালয়ে রিজভী | national |
https://samakal.com/whole-country/article/211290368/ফরিদপুরে-শাহজালাল-ইসলামী-ব্যাংকের-কম্বল-বিতরণ | ফরিদপুরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ | ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত দরিদ্র শিক্ষার্থী ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের কম্বল দিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রায় চার হাজার মানুষকে দেওয়া হয় কম্বল। রোববার দিনব্যাপী ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের সৌজন্যে প্রদত্ত এ কম্বল বিতরণ উপলক্ষ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের পশরায় এম এ আজিজ হাই স্কুল ও সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় ডা. আবুল হাসেমের বাড়ি, শহরের টেপাখোলায় নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, ধলার মোড় ও স্লুইজ গেট এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেসব অনুষ্ঠানে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ব্যাবস্থাপক মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন পর্যায়ে উপস্থিত থেকে শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, এম.এ আজিজ হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. আবুল হাসেম, সমাজসেবক শামসুদ্দিন করিম, উন্নয়ন সংস্থা একেকের নির্বাহী পরিচালক এমএ জলিল, পরিচালক এবিএম আলাউদ্দীন, এম.এ আজিজ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সাইফুদ্দিন, নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার চায়না প্রমুখ। | ফরিদপুর,কম্বল বিতরণ,শিক্ষার্থী,শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক | শীতার্ত দরিদ্র শিক্ষার্থী ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের কম্বল দিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক | national |
https://www.ajkerpatrika.com/77206/%E0%A6%97%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%C2%A0 | গণ পরিবহনে যাত্রীদের ভোগান্তি শুরু রাত থেকেই | জ্বালানী তেলের দাম বাড়ায় রাত থেকেই সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রী তোলার আগেই বাসের কন্ডাক্টর জিজ্ঞাসা করছেন যাত্রীরা কোথায় যাবেন। শুধু তাই নয় যাত্রীদের আগেই বর্ধিত ভাড়া জানিয়ে দিচ্ছেন কন্ডাক্টর। আবার একই কোম্পানির বাসগুলোতে যাত্রী কম থাকলে তাদেরই অপর গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে কিছু বাস কাউন্টারে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় রামপুরা ট্রাফিক বক্স, পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড়, মালিবাগ মোড়, ফকিরাপুল ও দৈনিক বাংলা মোড়ের দেখা যায় এ চিত্র ।এ সময় রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য গাড়ি অনেক কম দেখা গেছে। তবে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন কোম্পানির গাড়িগুলোর চলাচলে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এর মধ্যে সেসব গাড়ি চলছে তাঁর বেশির ভাগই কাভার্ড ভ্যান।ভিক্টর ক্ল্যাসিক বাসের একজন কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা ভাড়া একটু বেশি চাইলেই যাত্রীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে। আগামীকাল থেকে ধর্মঘট চলবে। ভাড়া বাড়লে তারপর আবার রাস্তায় গাড়ি নামবে।' | ঢাকা বিভাগ,গণপরিবহন,ধর্মঘট,ঢাকা | পাল্লার বাস কাউন্টারে অপেক্ষায় যাত্রীরা। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/112739/%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87 | হবিগঞ্জের ল্যাব টেকনোলজিস্ট হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন | হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের হত্যার যথাযথ তদন্ত এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাইফুলের বন্ধুরা। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবি জানান সাইফুলের বন্ধুরা ও ৯/১১ পরিবার।মানববন্ধনে সাইফুল ইসলামের বন্ধুরা জানান, হাসপাতালের সামনের রাস্তায় তাঁকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। রক্ত পরীক্ষা নিয়ে দুই তরুণের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।তাঁরা আরও জানান, দুজনের সঙ্গে হাসপাতালেই কথা-কাটাকাটি হয় সাইফুলের। উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সাইফুলের সহকর্মীরা তাদের থামিয়ে দেয়। পরে সাইফুল ব্যক্তিগত কাজে শহরের খাজা গার্ডেন শপিংমলে যাওয়ার পথে তারা সাইফুলের ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত সাইফুলকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সাইফুল মারা যান।সাইফুলের বন্ধু সুজন বলেন, সাইফুলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। সাইফুল করোনার শুরু থেকে মানুষকে সেবা দিয়েছে। সে সময় সাইফুল বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে এনেছিলেন। প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো খুনিরা গ্রেপ্তার হয়নি।বাংলাদেশ ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আরিফ বলেন, সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে। একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের গুরুত্ব কতটুকু, তা আমরা এখনো বুঝতে পারিনি। করোনার স্যাম্পল নিতে দেরি হওয়ায় দুজনের সঙ্গে সাইফুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এই কারণে একজনকে খুন করা যায়? আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।সাইফুলের আরেক বন্ধু আল হাসনাত রুইফা বলেন, সাইফুলের অনেক স্বপ্ন ছিল। পরিবার, সমাজ, হাসপাতাল নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল সাইফুলের। সে কখনো কারও ক্ষতি করেনি। করোনায় যখন কেউ কারও কাছে যেতেও ভয় পেত, তখন সাইফুল মানুষকে সঙ্গ দিয়েছেন, চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই সাইফুলের রক্তে আজ রাজপথ রঞ্জিত। কেন তাঁকে মরতে হলো? কেন ৭২ ঘণ্টা পরও তাঁর হত্যাকারীদের ধরা গেল না? এই নৃশংস হত্যার বিচার করতে হবে। তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। | ঢাকা জেলা,হত্যা,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,প্রেস ক্লাব,মানববন্ধন,প্রতিবাদ,ঢাকা | হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের হত্যার যথাযথ তদন্ত এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন সাইফুলের বন্ধুরা। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/45896/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87 | জ্বর হয়েছে? | জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। বিভিন্ন কারণে আমাদের জ্বর হয়ে থাকে। বড়দের জ্বর সচরাচর সুনির্দিষ্ট কারনেই হয়ে থাকে। অপরিণত স্নায়ুতন্ত্র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারার কারণে অনেক সময় শিশুদের তীব্র জ্বর হয়। এ ছাড়া বড়দের যেসব কারণে জ্বর হয়, সেসব কারণে শিশুদেরও জ্বর হতে পারে।বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। শিশুরাও অনেক আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তীব্র জ্বর, চোখের পেছনে ব্যথা, গা ব্যথা ও দুর্বলতা বোধ হয়। জটিলতা হিসেবে রক্তক্ষরণ ও রক্তচাপ কমে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিতে পারে।যেভাবে জ্বর কমানো যায়তীব্র জ্বর যে কারণেই হোক তা কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র জ্বর অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে; বিশেষ করে শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি হতে পারে, যা মস্তিষ্কের ওপর উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হয়ে থাকে।কুসুম গরম পানি দিয়ে ভেজানো কাপড় ব্যবহার করে হাত-পা মুছে দেওয়া যেতে পারে।জলপট্টি ও মাথায় পানি ঢালার মাধ্যমেও জ্বর কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল একটি কার্যকর ওষুধ।যেসব রোগী মুখে ওষুধ খেতে পারবে না, তাদের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে। সাপোজিটরি তুলনামূলক দ্রুত কাজ করে। তবে শিশুদেরক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, বয়স ও ওজন হিসাবে মাত্রানুযায়ী যথাস্থানে সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ হয়েছে কি না। অতিরিক্ত প্রয়োগে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।জ্বরে যা করতে হবেজ্বর হলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খেতে দিতে হবে।ঘরে প্রচুর বাতাসের চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে, যাতে শরীর থেকে তাপ সহজেই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর নির্ণয় হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। ভাইরাসজনিত জ্বর নির্দিষ্ট সময় পরে স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল জ্বর কমানোর জন্য নিরাপদ। ডেঙ্গু জ্বর হলে অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যেতে পারে, তাই অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার বিপজ্জনক।এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। জ্বরের কারণ জানতে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে সাধারণত তীব্র জ্বর হয় না। সে ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।লেখক: বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর | স্বাস্থ্য,জীবনধারা,ডাক্তারের পরামর্শ | জ্বর হয়েছে? | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/101490/%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81-%E0%A6%AB%E0%A6%B8%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%B8 | জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনের জন্য ঢাবিতে গ্রিনহাউস উদ্বোধন | জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি গ্রিনহাউস উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের আওতায় এ গ্রিনহাউস স্থাপন করা হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রকল্প পরিচালক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রেজাউল হক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা।প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো একটি গ্রিনহাউস স্থাপন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, জৈবপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে জলবায়ুসহিষ্ণু ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী ফসলের উন্নয়নের প্রাথমিক গবেষণা ও মাঠপর্যায়ে তা অবমুক্ত করার আগপর্যন্ত এ গ্রিনহাউসে সেগুলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ করা সম্ভব হবে। গ্রিনহাউসের কাচের ঘরের ভেতর ফসল উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, আলো ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় সব উপাদান ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। এ বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মাধ্যমে কৃষিতে ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন অভিযোজন কলাকৌশল রপ্ত করতে হবে। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক চাপ সহনশীল ফসল ফলানো হচ্ছে। জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানসম্পন্ন, অর্থাৎ অধিক খরা ও বন্যা সহনশীল ফসল উদ্ভাবন সম্ভব। গ্রিনহাউস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য জোগানে উচ্চফলনশীল ফসল উদ্ভাবন সম্ভব হবে। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,গ্রিনহাউস,ফসল | বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বোটানিক্যাল গার্ডেনে গ্রিনহাউস উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। | nature |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/04/10/637565 | প্রেম করে বিয়ের পর আত্মহত্যার চেষ্টা অভিনেত্রীর | দক্ষিণী ছবির কন্নড় অভিনেত্রী চৈত্র কতুর। মাত্র কয়েকদিন আগেই দাম্পত্য জীবনে পা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে সমস্যার ফলে ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন 'বিগ বস'-এর সাবেক এই প্রতিযোগী। কর্ণাটকের কোলারে থাকেন চৈত্র। এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি। তার স্বামী নাগার্জুনা পেশায় এক জন ব্যবসায়ী। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছিল তাদের। বিয়ের আগে বেশ কিছু বছর প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন চৈত্র ও নাগার্জুনা। এদিকে, পুলিশের কাছে অভিযোগে চৈত্র কতুর বলেছেন, শুরু থেকেই বিয়ে করতে দেরি করছিলেন নাগার্জুনা। এক পর্যায়ে চৈত্রার পরিবার ও স্থানীয় নেতার হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে হয়। তবে সেই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। নাগার্জুনার পরিবার চিত্রাকে গালিগালাজ করতো। বিচ্ছেদ না করলে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ | null | চৈত্র কতুর | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/09/04/%e0%a6%b0%e0%a6%82%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%93%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8/ | রংপুর বিভাগের ইউএনওদের নিরাপত্তায় থাকবে আনসার | রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৫৮টি উপজেলার ইউএনও'দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১০ জন করে আনসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখতে গিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাসভবনের নিরাপত্তায় আনসার ব্যাটালিয়ন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাতে আনসার-ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা যায় সেটি নিশ্চিত করতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রশাসন। বুধবার আনুমানিক রাত দুইটার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢোকে কে বা কারা হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালায় ইউএনও ওয়াহিদা খাতুনের ওপর। তার চিৎকারে বাবা ওমর আলী পাশের ঘর থেকে ছুটে এলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। জানা যায়, হামলাকারীরা পিপিই পরা ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেলে। ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায়; এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয় ঢাকার নিউরো সাইন্সেস হাসপাতালে। এমন পরিস্থিতিতে রংপুর বিভাগের ইউএনও'দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনসার মোতায়েন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। | null | জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় | national |
https://www.ajkerpatrika.com/25450/%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A2%E0%A7%87%E0%A6%89%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A8 | তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়লে সামাল দেওয়া কঠিন: স্বাস্থ্যের ডিজি | দেশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এসেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে।রংপুর বিভাগে চার দিনের সফরকালে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নীলফামারীর হাসপাতাল পরিদর্শনে শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।খুরশীদ আলম বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম, অনেকেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন। পরীক্ষা বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না। আমরা মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি রোগীর খোঁজ রাখতে বলেছি।এর আগে, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চার দিনের সফরে রংপুর বিভাগ পরিদর্শনে যান।এই বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন শুরু করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সরাসরি নীলফামারীতে যান। ওই দিন রাতেই নীলফামারীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। | করোনা,করোনাভাইরাস,রংপুর জেলা,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় | মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/38763/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2 | মাল্টা চাষে দিনবদল | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাল্টা চাষ কৃষকদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এমন একজন মাল্টা চাষি মুজিবুর রহমান। শখের বশে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ১০০টি মাল্টাগাছের চারা নিয়ে বাড়ির পাশে ছোট একটি বাগান করেছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তাঁর সেই বাগান বড় হতে থাকে। পরের বছর ৬৫ একর জমির ওপর মাল্টাবাগান করেন মুজিবুর।চলতি মৌসুমে বাগানের প্রতিটি মাল্টাগাছ ফলে ফলে ভরে উঠেছে। এবার ৬ লাখ টাকার বেশি মাল্টা বিক্রির আশা করছেন মুজিবুর রহমান।উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের তাঁর বাগানে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। মুজিবুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে এই বাগান করা হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি মাল্টা ১৫০ টাকা দরে বাগান থেকেই নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।তিনি জানান, বাণিজ্যিকভাবে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করে অল্প সময়ে সফলতা পেয়েছেন তিনি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ জন্য ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে চাষের চিন্তা আছে তাঁর।প্রথমে খুব অল্প পরিমাণ জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন কৃষক মো. মুজিবুর রহমান। গাছ রোপণের পরের বছরই ফলন পেতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতি বছরই ওই জমি থেকে নিয়মিত মাল্টা পাচ্ছেন তিনি। আর এ মাল্টা বিক্রি করে লাভবানও হয়েছেন মুজিবর। মাল্টার পাশাপাশি তার একই জমিতে জাম্বুরা, খেজুর, ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের চারা রয়েছে। তাঁর দেখা দেখি স্থানীয় যুবকেরা ও মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, দেশের অধিকাংশ স্থানে সবুজ মাল্টা চাষ হচ্ছে। কৃষকদের মাল্টা চাষ করার জন্য সব সময় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ও মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। ইতিমধ্যে মুজিবুর রহমান মাল্টা চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন। | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,বাঞ্ছারামপুর,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,চট্টগ্রাম চাঁদপুর | নিজ মাল্টা বাগান মুজিবুর রহমান। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/211287904/টেকনাফে-ফের-বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায়-মেয়র-হচ্ছেন-বদির-চাচা | টেকনাফে ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হচ্ছেন মো. ইসলাম | কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের মেয়র হতে যাচ্ছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির চাচা মো. ইসলাম। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র হতে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও এই পৌরসভায় আরও চার কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন- ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এমপি বদির ছোটভাই মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহ মনির, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এহতেশামুল হক বাহাদুর এবং ৮ নম্বর ওর্য়াডে মো. মনিরুজ্জামান। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শাহজাহান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ত্রুটি থাকায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবদুস শুক্কুর ও মোহাম্মদ ইসমাইলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার বিকেলে এক মেয়র ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে মেয়র পদে মো. ইসলাম ও চার কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। ২৬ ডিসেম্বর বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নসহ এ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ হাজার ৮৫ জন। | কক্সবাজার,টেকনাফ,পৌরসভা নির্বাচন,আবদুর রহমান বদি | মো. ইসলাম | national |
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/ইউনিলিভার-বাংলাদেশে-চাকরির-সুযোগ | ইউনিলিভার বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ | ইউনিলিভার বাংলাদেশ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের মানবসম্পদ বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পদের নাম এইচআর বিজনেস পার্টনার। পদসংখ্যা নির্ধারিত নয়। স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি, বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। পরিকল্পনা, নিয়োগ, উন্নয়নবিষয়ক কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগ্রহীরা ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যাবে এইচআর বিজনেস পার্টনার পদের জন্য। বেতন আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে। কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য সুবিধাও মিলবে। | চাকরিবাকরি,চাকরির খবর,চাকরির পরামর্শ | ইউনিলিভার বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ | education-career |
https://samakal.com/whole-country/article/210457899/প্রধানমন্ত্রীকে-নিয়ে-আপত্তিকর-ভিডিও-ফেসবুকে-মাদ্রাসাছাত্র-আটক | প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে, মাদ্রাসাছাত্র আটক | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশের অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদ্রাসার এক ছাত্রকেআটক করেছে পুলিশ। রোববার বিকালে চকরিয়া পৌর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার নাম মো. নুরুল আজাদ (২৯)। মো. নুরুল আজাদআমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাযিল মাদ্রাসার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এলাকার স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. এনামুল হকের ছেলে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, আটক মাদ্রসাছাত্র সোনারগাঁয়ে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে নিয়ে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার ও গালিগালাজ করে ভিডিও রেকর্ড করে। পরে সেটি ফেসবুকে আপলোড করে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। | প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও,আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে,ফেসবুক | আটক মো. নুরুল আজাদ | national |
https://samakal.com/capital/article/2203103079/১০০টি-স্ট্রিড-ফুড-কার-চালু-করবে-ডিএনসিসি | ১০০টি স্ট্রিড ফুড কার চালু করবে ডিএনসিসি | আসন্ন রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ জন্য ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ ইফতার তৈরি ও বিপণনে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ডিএনসিসি গুলশান-২-এ ডিএনসিসি নগরভবনে যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে প্রাথমিকভাবে ১০০টি পথে খাবারের গাড়ির (স্ট্রিট ফুড কার) লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব গাড়ি পথে খাবার বিক্রি করবে। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কর্মশালায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কাইউম সরকার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, এফএও'র চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার জন টেইলরসহ ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও বিভিন্ন হোটেল রেস্তরার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। | রমজান,বাজার মনিটরিং,ডিএনসিসি,স্ট্রিট ফুড কার,আতিকুল ইসলাম | মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম | national |
https://www.prothomalo.com/opinion/editorial/ঋণের-জোগান-বাড়ান-নিরাপত্তা-দিন | ঋণের জোগান বাড়ান, নিরাপত্তা দিন | করোনাকালে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা হতাশাজনক খবরের মধ্যেও হঠাৎ আলোর ঝিলিক দেখা যায়। যেমন করোনার শুরুতে তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখা। সেই কাজটি তারা ভালোভাবেই করতে পেরেছে। একইভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান বাড়ার খবরটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো (এসএমই) গত পাঁচ বছরে গড়ে ১০৫ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানে। এই হার প্রায় ১৪৬ দশমিক ২ শতাংশ। গবেষণায় আরও বলা হয়, এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা প্রথমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও পরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নতুন কর্মী যুক্ত হয়। ফলে বর্তমানে কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এসএমইর খাতওয়ারি হিসাব করলে দেখা যায়, বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে সেবা খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে, ১৭৪ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্পে ১৩১ শতাংশ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৭৪ শতাংশ, কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। এসএমই খাতে দুই ধরনের কর্মী নিয়োগ করা হয়। বেতনভুক্ত ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক। দুটোতেই কর্মসংস্থান বেড়েছে যথাক্রমে ১৩৪ শতাংশ ও ৯৪ শতাংশ হারে। এসব প্রতিষ্ঠানে গড় বিনিয়োগ ছিল ৩ কোটি টাকার মতো। আর বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এসএমই খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানে পারিবারিকভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরাই এর উদ্যোক্তা ও কর্মী। কিন্তু ব্যবসার প্রসার ঘটলে পরিবারের বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগ করা হয়। গত এক দশকে ভারী শিল্প খাতের যখন মন্দাবস্থা চলছে, তখন এসএমই খাতের এই শ্রীবৃদ্ধি অর্থনীতিকেই কেবল গতিশীল করছে না, বেকারত্ব নিরসনেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে 'স্মল ইজ বিউটিফুল'। ছোটই সুন্দর। কিন্তু এই খাতের ধারাবাহিক সাফল্য সত্ত্বেও কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোর প্রতি সরকার নজর না দিলে এই সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হবে। এসএমই খাতের প্রধান সমস্যা হলো অর্থায়ন। উদ্যোক্তারা শুরুতে নিজেদের সঞ্চয় থেকে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ব্যবসা বা শিল্প প্রসারের পর ব্যাংকঋণ জরুরি হয়ে পড়ে। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা 'তেলা মাথায় তেল' দিতেই বেশি পছন্দ করে। বড় অঙ্কের ঋণ দিলে ব্যাংকের লাভ বেশি। তাই ছোট উদ্যোক্তাদের অগ্রাহ্য করে। করোনাকালেও দেখা গেছে, সরকার এসএমই খাতে যে অঙ্কের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল, ব্যাংকগুলো সেই অর্থ ছাড় দিতে গড়িমসি করেছে। যদিও এসএমই খাতে ঋণ পরিশোধের হার বৃহৎ শিল্পের চেয়ে অনেক বেশি। এই খাতে খেলাপি ঋণও কম। অন্যদিকে এই শিল্পের জন্য নিরাপদ জায়গা পাওয়াও এখন দুর্লভ হয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নগরী তৈরি করা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই হয় বেদখল, না হয় অন্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারের উচিত প্রধান প্রধান শহরে এসএমইর জন্য আলাদা জমি বরাদ্দ। বিসিক শিল্পনগরীর মতো এসএমই শিল্পনগরী গড়ে উঠতে পারে। বিচ্ছিন্নভাবে এসব শিল্প গড়ে ওঠায় উদ্যোক্তারা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। সন্ত্রাসীদের দ্বারা নারী উদ্যোক্তারা নানাভাবে হয়রানি ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন বলে সম্প্রতি প্রথম আলোয় খবরও প্রকাশিত হয়েছে। ঋণের জোগান বাড়ানোর পাশাপাশি এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা দিতে পারলে এই খাতে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। | সম্পাদকীয় | ঋণের জোগান বাড়ান, নিরাপত্তা দিন | opinion |
https://www.bd-pratidin.com/life/2022/04/28/764716 | ঈদ উপলক্ষে শ্রেয়া'র বিশেষ পণ্য প্রদর্শনী
| ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় নারী সংগঠন 'শ্রেয়া বিডি'র আয়োজনে দুই দিনব্যাপী 'শ্রেয়া ঈদ রিগেইল ২০২২' শীর্ষক একটি বিশেষ পণ্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত রেনেসন্স হোটেলে ২৮ ও ২৯ এপ্রিল প্রদর্শনীটিতে আগতদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। শ্রেয়া ঈদ রিগেইল প্রদর্শনীতে ৫০টিরও বেশি স্টলে বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন ও বিপণন করা হবে। এ ছাড়া ঈদপূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নারীদের মেকওভার, সাজসজ্জা, মেহেদী-স্টল ও লাইভ মিউজিকের আয়োজনও থাকবে। অনলাইন জগতের সুপরিচিত ব্যক্তিরা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
| ঈদ, শ্রেয়া, বিশেষ, পণ্য, প্রদর্শনী | ঈদ উপলক্ষে শ্রেয়া'র বিশেষ পণ্য প্রদর্শনী | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/01/09/%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be/ | দুর্নীতি-মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার | রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দুর করতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করেছে। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। বর্তমানে জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এসময় তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হয়েছে। দেশের জনগণের বিপুল সমর্থনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, তবে জাতীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় হলো '৭৫ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নৃসংশভাবে হত্যা। এর ফলে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।' তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের শ্রেণিতে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা এবং বিডিআর হত্যাকান্ড মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, হলি আর্টিজান হামলা মামলা, নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় দ্রুত ঘোষণা করা হয়েছে।' এসময় সরকারের সব সেক্টরের উয়্ন্নমুলক কর্মকান্ড তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ২০২৩ সালে চালু হবে। | কল্যাণমূলক,দুর্নীতি,মাদকমুক্ত,মো. আবদুল হামিদ,রাষ্ট্রপতি | রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/11/10/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86/ | ক্ষমতা ছাড়তে টালবাহানা, আইনি লড়ায়ে ট্রাম্প-বাইডেন | জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার কথা। এর আগেই বিদায়ী ও আসন্ন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিতে হয়। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প এখনও হার মেনে না নেওয়ায় সেই সমন্বয়ের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সোমবার বাইডেন শিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। তিনি একটি চিঠিতে সই করলেই রাষ্ট্রীয় তহবিল, সরকারি দফতর এবং সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারবে বাইডেন শিবির। তবে মারফি বলেছেন, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ কারণে তিনি বাইডেন শিবিরকে অনুমতি দিতে পারছেন না। বাইডেন টিম জানিয়েছে, তারা আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন। অন্যান্য উপায়গুলো নিয়েও তারা আলোচনা করছেন। রয়টার্সকে বাইডেন শিবিরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএস পাবলিক রেডিও'র সঙ্গে কথা বলেছেন রবার্ট ম্যাককেইন। রোনাল্ড রিগ্যান এবং জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জেনারেল কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বলেন, এ মুহূর্তে বাইডেন শিবিরকে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে তাদের কাজকর্ম শুরুর অনুমতি দেয়া মারফির জন্য খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। এর আগে মার্কিন নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। এরমধ্যেই শনিবার জো বাইডেনকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে মার্কিন গণমাধ্যম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোট গণনা এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার আগে পরাজয় স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছে তার প্রচারণা শিবির। | ট্রাম্প,নির্বাচন,বাইডেন,মামলা,যুক্তরাষ্ট্র | ট্রাম্প-বাইডেন | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/24/%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a7%88%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be/ | খুলনায় বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জঙ্গি আটক | নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে খুলনা মহানগরী থেকে আটক করেছে সিআইডি। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ সময় বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নগরীর ময়লাপোতা মসজিদের সামনে থেকে আনসার আল ইসলামের সদস্য নাসিম ও হাসানকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডির কাউন্টার টেরোরিজম ও খুলনা ইউনিট যৌথভাবে নগরীর ময়লাপোতা মসজিদের সামনে থেকে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে আটক করে। এরপর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, একটি এয়ারগান, লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রশিদ, সদস্য সংগ্রহ ফরম ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। উগ্রবাদী মতবাদ প্রচারণা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা সদস্য সংগ্রহ, দাওয়াতি কার্যক্রম, সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিল বলেও জানান তিনি। এদিকে সিআইডি কার্যালয়ে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, তাদের অন্য সহযোগিদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর লবণচরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | আটক,জঙ্গি,বোমা | খুলনায় আটককৃত দুই জঙ্গি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/145166/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8 | প্রচার মাইকে অতিষ্ঠ জীবন | নাটোরের লালপুরে মাইকিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকের উচ্চশব্দে চলে বিভিন্ন রকমের প্রচার।মোবাইলে রেকর্ড করে মেমোরি কার্ডে নিয়ে ভ্যান অথবা ইজিবাইকে মাইক বেঁধে চলতে থাকে পাড়া-মহল্লায় বিরতিহীন প্রচার। কখনো একটি আবার কখনো সামনে-পেছনে দুটি মাইক বেঁধে উচ্চশব্দে দিনে-রাতে চলে এ ধরনের শব্দদূষণ। এতে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।মোমিনপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই শুরু হয় মাইকের যন্ত্রণা। রোগীদের আকৃষ্ট করতে চিকিৎসকদের প্রচার, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মুরগি, মাছ, গরু জবাই, ছাগলের হাট, শিম বিক্রি থেকে শুরু করে আলু-পটোল বিক্রিসহ মাইকে উচ্চশব্দে বিভিন্ন ধরনের প্রচার চালানো হয়।রামানন্দপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন প্রধান সড়ক ছাড়াও গ্রামে পাড়া-মহল্লায় মাইকে প্রচারের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। দিনে-রাতে ভোগান্তির কথা বিবেচনা না করে মাইকের উচ্চশব্দ আর গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।কচুয়া গ্রামের মাজদার রহমান বলেন, সকাল থেকে মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তিনি। উচ্চশব্দে গান বাজানোর জন্য লেখাপড়া, ঘুম ঠিকমতো হয় না।মাইকযোগে গরু জবাইয়ের জানান দেওয়া বকুল বলেন, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাইকে প্রচার চালানো হয়। এতে যে আইনে নিষিদ্ধ এমনটি জানা নেই।রাজা মাইক সার্ভিসের প্রচারকর্মী মহসিন আলী বলেন, মাইকিংয়ের জন্য ডাক পড়লে ভাড়া খাটতে যান। কেউ একটি আবার কেউ দুটি মাইকের ভাড়া দিলে সে অনুযায়ী সার্ভিস দেন। শব্দের কোনো মাপ তাঁদের জানা নেই।নাটোর জজকোর্টের আইনজীবী শাহ মুখদুম সরকার রুপস বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা ছাড়া শব্দযন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। গ্রামাঞ্চল বা নীরব এলাকায় দিনে ৫০ ডেসিবেল ও রাতে ৪০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। জনস্বার্থে উচ্চশব্দ যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) লালপুর উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি আইনজীবী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যাঁরা এসব শব্দযন্ত্র ব্যবহার করছেন, তাঁরা না বুঝেই করছেন। উচ্চশব্দযন্ত্রের ব্যবহাররোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম শাহাব উদ্দিন বলেন, শব্দদূষণের একটি মাত্রা আছে। উচ্চশব্দে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাত্রার বেশি শব্দদূষণ হলে দীর্ঘমেয়াদি শ্রবণের সমস্যা, বধিরতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা, ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, কোথাও উচ্চশব্দদূষণের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,লালপুর,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬ | নাটোরের লালপুরে গতকাল দুপুরে উচ্চশব্দে চলে প্রচার মাইক। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/19125952/উপলক্ষ্যে-বর্ণিল-রুপে-সজ্জিত-চুয়েট | সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল রূপে সজ্জিত চুয়েট | চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তনে অংশ নিতে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকেই মুখরিত হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে 'বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক' দেওয়া হবে। তারা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহামেদ, একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবায়া আফসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়ুয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদুর রহমান। এ ছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রি দেওয়া হবে। ২০১২সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীরা সমাবর্তনে অংশ নেবেন। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রস্তুতি একেবারেই শেষ পর্যায়ে। গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকদিন আগে থেকেই বর্ণিল রূপে সাজিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চুয়েটের একাডেমিক ভবন, ক্যাম্পাস এবং অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো সাজানো প্রায় শেষ। ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। সড়কের পাশের গাছগুলোতে সাদা-লাল রংয়ের আলোকছটায় চিরচেনা রুপে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। যা সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তীর আবেশকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনই বিভিন্ন আলোকসজ্জা শোভা পাচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজমান। সমাবর্তন উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শোভাবর্ধন করা হয়েছে। বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। সমাবর্তন ঘিরে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তকাবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে জানা যায়। সমাবর্তনের সার্বিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পাস থেকে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আবাসিক হলগুলোর ফটক বন্ধ থাকবে।এ সময় শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান করতে হবে। | সমাবর্তন,চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,চুয়েট | চুয়েটের প্রশাসনিক ভবন | national |
https://www.ajkerpatrika.com/20654/%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A7%C2%A0 | ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২১ | ঈশ্বরগঞ্জে থানা-পুলিশের অভিযানে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তিনজন, চুরির মামলায় একজন, জুয়ারি ১৫ জন এবং অন্যান্য মামলায় দুজনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পৌর এলাকার সুজন সিংহ (৪০), স্বপন রাজ ভর (৩০)। তাঁদের কাছ থেকে ৭০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ ছাড়াও সোহাগী ইউনিয়নের বগাপুতা গ্রামের মো. ইসলাম উদ্দিনকে (৫৮) ১৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়াও তারিন্দায়া ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামের ইয়াসিনকে (২৫) চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।অন্যদিকে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. মাসুম (২৫), মো. রমজান (২৫), মো. সুজন মিয়া (২৭), মো. জাকির হোসেন (২০), মো. নাজিম উদ্দিন (৩৮), মো. আজিম উদ্দিন (৩০), মো. রাকিব (২১), মো. খোকন মিয়া (৩০), মো. রমজান (২৪), মো. আল আমিন (২৬), বিল্লাল (২৮), আল আমিন (২৭), মো. শামছুল হক (২৪), মো. কাজল (৪০), মো. আবু সাঈদ (৩৬)। এ ছাড়াও বড়হিত ইউনিয়নের নয়শিমুল গ্রামের অন্যান্য মামলায় মো. এরশাদ মিয়া (৩০), মো. সুজন মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, 'ফের অভিযান চালিয়ে মাদক, চুরি, জুয়ারি, ও অন্যান্য মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।' | ময়মনসিংহ জেলা,অপরাধ,গ্রেপ্তার,ময়মনসিংহ বিভাগ,মাদকদ্রব্য,ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ | পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত ২১ জন। | national |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/03/15/628682 | বিয়ে করলেন বুমরাহ
| দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শেষপর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। টেলিভিশন ক্রীড়াউপস্থাপিকা সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটের পেস বোলিং সুপারস্টার জসপ্রীত বুমরাহ। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার গোয়ায় বিলাসবহুল এক রিসোর্টে দুজনে বিয়ে করেছেন। বিয়েতে মাত্র ২০ জন উপস্থিত ছিলেন। কাউকে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ টুইটারে পোস্ট করেছেন বুমরাহ। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'ভালোবাসা যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে তা আপনার রাস্তা নির্দেশ করে দেয়। ভালোবাসার পথে হেঁটে আমাদের একসঙ্গে নয়া পথের সূচনা হলো। আজ আমাদের জীবনের অন্যতম সুখের দিন এবং আমাদের বিযের খবর ও আনন্দ আপনাদের সঙ্গে বিয়ে করে নিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।' নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন সঞ্জনাও। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | গোয়ায় বিলাসবহুল এক রিসোর্টে দুজনে বিয়ে করেছেন | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/134682/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%96%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করায় গ্রেপ্তার শিক্ষক | ভোলার বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নে শিক্ষক রেদোয়ানের (৪০) বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থী হালিমাকে (৪) পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ওই শিক্ষককে ভোলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।জানা গেছে, গত শনিবার নুরানি মাদ্রাসার ছাত্রী হালিমা মাদ্রাসা যায়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক রেদোয়ান হালিমাকে পড়া জিজ্ঞাসা করলে সে বলতে পারেনি। এ জন্য শিশুটিকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন ওই শিক্ষক।গতকাল রোববার এ ঘটনায় আহত শিশুটির মা বিবি মরিয়ম বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু আইন-২০১৩ এর ৭০ ধারায় বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই দিনই অভিযুক্ত শিক্ষক রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করে।বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অভিযুক্ত শিক্ষক রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে ভোলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। | ভোলা,অপরাধ,গ্রেপ্তার,বরিশাল বিভাগ,আদালত,শিশু | শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করায় শিক্ষক রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/660943/দুর্নীতির-দায়-থেকে-নওয়াজ-শরিফকে-অব্যাহতি-দিতে-চায়-পিএমএল-এন | দুর্নীতির দায় থেকে নওয়াজ শরিফকে অব্যাহতি দিতে চায় পিএমএল-এন | পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি দিতে চায় বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ)। সোমবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন পাকিস্তানি গণমাধ্যম। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের বিশেষ আইনগত বিধানের মাধ্যমে নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা ভাবছে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ)। এর মাধ্যমে (দুর্নীতির মামলাকে কেন্দ্র করে) নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে যে সকল দণ্ডাদেশ আরোপ করা হয়েছিল তা স্থগিত রাখা হবে। এ বিষয়ে পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিশেষ ক্ষমতা আছে যার মাধ্যমে (দুর্নীতির মামলাকে কেন্দ্র করে) আরোপিত দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখা যায়। এর ফলে দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তি আদালতে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানি পুনরায় শুরু করতে পারে। কারণ, এর আগে তিনি আদালতে সুবিচার পাননি। মূলত, এমন মন্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে চাইছেন যে এ সকল আইনগত বিধানের মাধ্যমে পিএমএল-এন দলের প্রধান নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। সূত্র : ডন, দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন | দুর্নীতি,নওয়াজ শরিফ,পিএমএল-এন,উপমহাদেশ | পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ | international |
https://www.prothomalo.com/feature/naksha/আবার-আইলাইনার | আবার আইলাইনার | ক্লিওপেট্রার সাজে এলিজাবেথ টেইলরের চোখের সাজ তো মেকআপের জগতে কিংবদন্তির মর্যাদাই পেয়ে গেছে। চোখের পাতার বাইরেও টেনে আইলাইনার লাগানোর এ চলকে পরে আরও জনপ্রিয় করেন অড্রে হেপবার্ন। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকাদের চোখের সাজ বলতেই মনে আসে এ কথা। থিমভিত্তিক সাজে এ স্টাইল খুবই জনপ্রিয়তা পায়। মাঝে কিছুদিন চোখের তুলনায় ঠোঁটের সাজটাই প্রাধান্য পেত। তবে ইদানীং আবার চলছে এমন চোখের সাজ। ক্যাট, উইংগড, ফেলাইন আই নানা নামেই বোঝানো যায় একে। জেনে নিন ক্যাট আইলাইনার পরার জন্য প্রয়োজন হবে তরল অথবা জেল লাইনারগুলো, যা দিয়ে সরু তুলির সাহায্যে ইচ্ছেমতো লাইন আঁকা যায়। পেনসিল লাইনার দিয়েও ক্যাট আইলাইন আঁকা যায়, তবে তা সে রকম সূক্ষ্ম হয় না। আর দিন শেষে পেনসিল লাইনার ছড়িয়ে পড়ার বা মুছে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাইনারে বেছে নিন খুব গাঢ় কালো অথবা বাদামি রংগুলো, কারণ তা মেকআপে ফুটে ওঠে বেশি। কিন্তু সাজের প্রয়োজনে আপনি যেকোনো রঙের লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন নীল বা সবুজ। ক্যাট আইলাইনার পরার জন্য খুবই সরু, ছোট ও গোল তুলির ব্রাশ সবচেয়ে ভালো। অনেকে ব্যবহারের সুবিধা ও অভ্যাস অনুযায়ী কোণাকৃতি ছোট, চ্যাপটা ব্রাশও ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। চাইলে আপনি সাধারণ রংতুলির শূন্য আকারের ব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই কোনো রকম আই মেকআপ ছাড়াই শুধু লাইনার পরতে পছন্দ করেন। আই মেকআপ করতে না চাইলে ত্বকের রঙের চেয়ে দুই শেড গাঢ় নিউট্রাল রঙের শ্যাডো (যেমন: বাদামি, বিজ) পুরোটা চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন, তারপর লাইনার পরুন। সঙ্গে ভ্রুর নিচটা হাইলাইট করুন আর সবশেষে মাসকারা পরে নিন। ক্যাট আইলাইনার আঁকার শুরুটা করুন চোখের পাতার মাঝ থেকে। তারপর পর্যায়ক্রমে চোখের পাপড়ির কোল ঘেঁষে বাইরের ও ভেতরের দিকে ভরাট করুন। প্রথমে চিকন লাইন টানুন, তারপর পছন্দমতো লাইন মোটা করতে পারেন। চোখের বাইরের কোনা থেকে ভ্রুর শেষটাকে নির্দিষ্ট করে কিছুটা বাঁকিয়ে ঊর্ধ্বগামীভাবে লাইন করুন। চোখের বাইরের লাইন ঠিক কতটা বড় বা ছোট হবে তা আপনার পছন্দের ওপর নির্ভর করবে। আর লাইন ঊর্ধ্বগামী করার কারণ হলো চোখকে কিছুটা বড় ও টানা টানা দেখানো। লাইনার পরার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে বাইরের বাড়তি লাইনের দৈর্ঘ্য দুই চোখেই যতটা সম্ভব সমান হয়। চোখের গভীরতা বাড়াতে চাইলে চোখের মাঝবরাবর লাইন একটু মোটা করে আঁকুন। আপনার চোখ যদি ছোট হয় তাহলে চোখের ভেতরের কোলে সাদা অথবা নিউট্রাল রঙের লাইনার পরতে পারেন, তাতে চোখ আরও খোলা মনে হবে। এক পরত লাইনার পরার পর একই রঙের আইশ্যাডো ঠিক লাইনটার ওপর বুলিয়ে তার ওপর আরেক পরত লাইনার লাগান। তাতে করে লাইনারের রং আরও গাঢ় লাগবে এবং এর স্থায়িত্বও বাড়বে। ক্যাট আই মেকআপে আইলাইনার পরার চল শুধু চোখের ওপরের পাতায়, চোখের নিচে নয়। অবশ্য অনেকেই এখন চোখের নিচের লাইন ও ওপরের লাইন মিলিয়ে পরতে বা নিচটা স্মোকি করে পরতে পছন্দ করেন। যেভাবেই পরুন না কেন ধারালো ও দৃশ্যমান লাইন হলো ক্যাট আইলাইনারের মূল বৈশিষ্ট্য। এভাবে আইলাইনার লাগানোর জন্য অবশ্য প্রয়োজন অভ্যাসের।লেখক: গ্রিন স্টোরি নামের সৌন্দর্য বিষয়ক ব্লগ পরিচালনা করেন | রূপচর্চা,নকশা | মডেল: সাফা কবীর | life-health |
https://www.prothomalo.com/entertainment/song/আজও-সে-আমার-স্ত্রী | 'আজও সে আমার স্ত্রী' | অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সংগীত তারকা কানিয়ে ওয়েস্ট আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তারকা কিম কার্দাশিয়ান নাটকের এখনো অনেক বাকি। নইলে কিম কর্তৃক ডিভোর্সের আবেদন করার ৯ মাসের মাথায় কানিয়ে কেন বলবেন, 'আজও সে আমার স্ত্রী। তাকে আমি ফিরে পেতে চাই।' আর এমন একসময় প্রকাশ্যে ঘোষণাটা দিলেন তিনি, যখন মার্কিন কমেডিয়ান পিট ডেভিডসনের সঙ্গে কিম কার্দাশিয়ানকে নিয়মিত ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। মার্কিন অনলাইন টেলিভিশন রিভোল্ট টিভির ড্রিঙ্কচ্যাম্পস পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কাগজে-কলমে এখনও তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সেই অনুষ্ঠানে কানিয়ে বলেন, 'বিচ্ছেদের কোনো কাগজ তো আমি হাতে পাইনি। তাহলে আমাদের বিচ্ছেদ হয় কী করে। আমি কিন্তু ঠাট্টা করছি না। আমাদের সন্তানেরাও চায় তাদের মা-বাবা একত্রে থাকুক। সবাইকে নিয়ে আমি একত্রে থাকতে চাই।' জনপ্রিয় মার্কিন অনুষ্ঠান স্যাটারডে নাইট লাইভ কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'ওরা কিমকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছে যে সে আমাকে তালাক দিয়েছে। তাদের আসলে এই বিতর্কের দরকার ছিল। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বিচ্ছেদের কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়।' গত সপ্তাহে অন্তত তিনবার কিম ও পিটকে একসঙ্গে দেখা গেছে। নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানিয়েছে, কিম কার্দাশিয়ান সন্তান ও কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে পিটের সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা কেবলই বন্ধুর মতো একটি ভালো সময় পার করছেন। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন কিম ও কানিয়ে। তাঁদের চার সন্তান। বেশ কিছু দিনের দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন কিম। কিন্তু সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে কানিয়ে জানান, সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নাম কানিয়ে ওয়েস্ট থেকে বদলে 'ইয়ে' করেছেন এই শিল্পী। | বিদেশের গান,বিচ্ছেদ,তারকা | কানিয়ে ওয়েস্ট ও কিম কার্দাশিয়ান | entertainment |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/প্রতিমন্ত্রী-মুরাদের-পদত্যাগের-খবরে-সরিষাবাড়ীতে-আনন্দ-মিছিল | প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগের খবরে সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল | তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনন্দ মিছিল হয়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর এলাকায় মিছিল শেষে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর এলাকার শিমলাবাজারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার আরামনগর ট্রাক সমিতির সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিমলাবাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এদিকে সকালে মুরাদ হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বৈঠকখানায় কেউ নেই। আগে প্রতিদিনই এ বাড়িতে নেতা-কর্মীদের আড্ডা, ভিড় লেগে থাকত। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসাইন বলেন, মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে তাঁরা পৌর এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিমলাবাজারে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল করেছে। | জামালপুর,সরিষাবাড়ী,ছাত্রলীগ,ময়মনসিংহ বিভাগ,আওয়ামী লীগ | তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এই মিছিল হয় | politics |
https://samakal.com/bangladesh/article/1606217109/বিএনপি-জামায়াতের-অপশাসনে-ওয়ান-ইলেভেনের-জন্ম-হয়েছিল | ;বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনে ওয়ান-ইলেভেনের জন্ম হয়েছিল; |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত অপশাসনের ফলে ওয়ান-ইলেভেনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত অপশাসনের ফলে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে, তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম হয়।'
তিনি বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্যে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। খবর বাসসের
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১-০৬ মেয়াদে বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে। বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছিল দুর্নীতির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, সাংবাদিক নির্যাতন ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে।'
তিনি বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন নির্বাচনমুখী না হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তখনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও অসুস্থ পুত্রবধূর পাশে থাকতে ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ আমেরিকা যাই। আমেরিকায় থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাঁদাবাজি ও খুনের মামলা দেয়। মামলা যখন দেয়া হয়, তখন দেশে আমাকে আসতেই হবে বলে সিদ্ধান্ত নিই। ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল অপচেষ্টা ও প্রতিবন্ধকতা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে ফিরে আসি।'
তিনি বলেন, 'তখন চারদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যায় আর নির্মম নির্যাতনের ছোবল। সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা সকলেই অমানুষিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এমনই এক দুর্বিষহ সময়ে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। নির্বাচনের কথা বলা মাত্র ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে সুধাসদন থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়।'
তিনি বলেন, 'প্রথম ৩ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়। একটা ছোট্ট ব্রিফকেসে ভরে ওই টাকা দিয়ে গেছে গণভবনে। পাঁচশত টাকার নোট তিন কোটি টাকার ওজন হয় ৬৯ কেজি। তিনটা ৩০ ইঞ্চি সাইজের স্যামসোনাইট সুটকেস লাগে তিন কোটি টাকার ৫শ' টাকার নোট ভরতে। কিন্তু এমন জাদু তারা জানে যে একটা ব্রিফকেসেই ভরে এনে দিল তিন কোটি টাকা; যা অবাস্তব, কল্পনাপ্রসূত!'
শেখ হাসিনা বলেন, "বারবার আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে কারচুপি করেছে। ক্ষমতায় যাবার পথ বন্ধ করেছে। আবার হত্যার জন্য গ্রেনেড মেরেছে, তারপরও বেঁচে গেছি। এক-এগারোর কুশীলবরা যখন জানে মারতে পারে নাই তখন মানে মারার জন্য, রাজনীতি থেকে সরাবার জন্য একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে চলছে। জাতীয় সংসদ এলাকায় উপ-কারাগার তৈরি করে নিঃসঙ্গ কারাবাস দেয়া হয়। 'ক্যাঙ্গারু কোর্টে' প্রহসনের বিচারের মুখোমুখি করা হয়।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দীর্ঘদিন নিঃসঙ্গ কারাবাসে আমার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। চোখের সমস্যা তীব্র হয়ে ওঠে। আমার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালেও আমাকে দেখতে যেতে দেয়া হয়নি। এ সময় আমি একবারেরও জন্যও মনোবল হারাইনি। সব সময় মনে রাখতাম আমার আব্বা যখন জেলে যেতেন তাকেও তো কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমি তো তাও একটা বাসায়, একটা কামরায় আছি, যদিও ড্যাম্প পড়া স্যাঁতস্যাঁতে। আব্বাকে তো জেলখানায় সেলের ভেতরে রাখা হয়। সারাজীবন কত কষ্ট তাকে সহ্য করতে হয়েছে এবং বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন আর এই কষ্ট সহ্য করেছেন।'
তিনি বলেন, 'দেশ ও জাতি নিয়ে বাবার স্বপ্নের কথা ভেবে এই নিঃসঙ্গ সময়টিকে ব্যবহার করেছি দেশের উন্নয়ন চিন্তায়। বাংলাদেশ কীভাবে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে উঠতে পারে সে বিষয়ে পরিকল্পনা করেছি; নোট নিয়েছি। কত সালের মধ্যে এবং কীভাবে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা যাবে, দারিদ্র্য বিমোচন করা যাবে, বিদ্যুৎ দেয়া যাবে, গৃহহীনদের গৃহ দেয়া যাবে, স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে, কীভাবে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলা যাবে। এসব পরিকল্পনা আমি করেছি সে সময়ে। এই পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'মামলা চলাকালে দেখেছি বিচারকদের কী অসহায় অবস্থা। সবসময় একটা চাপ যেন আদালতে রয়েছে। আমার শুধু মনে হয়, এটা কী বিচার হচ্ছে? এ তো প্রহসন! বিচারের নামে প্রহসন চলছে। বিচারকরা কী তাদের বিবেক, চিন্তা, জ্ঞান ও বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে বিচার করতে পারেন? বিচারকরা তো সংবিধান মোতাবেক শপথ নিয়ে থাকেন, সেই শপথ কী রক্ষা করতে পারেন? এ সময় গণআন্দোলন তীব্র হয়। শুধুমাত্র ঢাকা শহরে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার মুক্তির দাবিতে জেগে ওঠে।'
তিনি বলেন, 'অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে বারবার আপোসের প্রস্তাব আসে। প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করেছি এবং বলেছি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে আমি আলোচনা করতে রাজি নই। গণমানুষের তীব্র আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লেজ গোটাতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন আমি মুক্ত হই।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আমরা সরকার গঠন করি। গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেই। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে জনগণের আকাঙক্ষা পূরণ করি। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল-মডেল হিসেবে গড়ে তুলি।'
| প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,ওয়ান-ইলেভেন | বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফোকাস বাংলা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/106491/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%8F-%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF | বাংলালিংক এবং এ টি হক লিমিটেডের করপোরেট চুক্তি স্বাক্ষর | দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, অন্যতম ফুড কনজিউমার ব্র্যান্ড এ টি হক লিমিটেডের সঙ্গে একটি করপোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আজ মঙ্গলবার বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াৎ এ তানজীন এবং এ টি হক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদম তামিজী হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।এই চুক্তির আওতায় এ টি হক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাংলালিংকের করপোরেট সংযোগ ব্যবহার করে বিশেষ কলরেট, দ্রুতগতির ডেটাসহ অপারেটরটির আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ তানজীন বলেন, 'দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে আমরা সব সময়ই দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগের ফলে এ টি হক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপকৃত হবেন।'এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড স্টেকহোল্ডার রিলেশনস ডিরেক্টর মেহনাজ কবীর, হেড অব ইমার্জিং ঢাকা নর্থ, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গাজী রাফি আহমেদ শামসসহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। | বাংলালিংক,চুক্তি,ঢাকা | বাংলালিংক ও এ টি হক লিমিটেড চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান। | economy |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/12/18/722161 | স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মানিকগঞ্জে বিজয় শোভাযাত্রা | স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিজয় দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোভাযাত্রাটি শহীদ রফিক সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খালপাড়ে সমাবেশ করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদরুল ইসলাম খান বাবলু। বিডি প্রতিদিন/এমআই | মানিকগঞ্জ, বিজয়, শোভাযাত্রা | স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মানিকগঞ্জে বিজয় শোভাযাত্রা। | national |
https://www.prothomalo.com/politics/পাকিস্তানকে-ক্ষমা-করে-দিতে-জাফরুল্লাহ-চৌধুরীর-দাবি-বিএনপিরই-বক্তব্য-তথ্যমন্ত্রী | পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাবি বিএনপিরই বক্তব্য: তথ্যমন্ত্রী | পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাবি আসলে বিএনপিরই বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'জাফরুল্লাহ সাহেব পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। যেখানে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ দাবি করছে যে পাকিস্তান ক্ষমা চাক, সেখানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। এটি জাফরুল্লাহ সাহেবের বক্তব্য নয়, এটি হচ্ছে পুরো বিএনপির অন্তর্গত বক্তব্য। তারা যে এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারছে না, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।' জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রয়াত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাঙালিদের ওপর, বাংলাদেশের মানুষের ওপর, ১৯৭১ সালে যে অন্যায় ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সে জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।' বরেণ্য অভিনেত্রী কবরী আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন এবং শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়। এর কয়েক বছর পরই সারাহ বেগম কবরীর আবির্ভাব। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি যেভাবে আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। কবরী অভিনীত বিভিন্ন চলচ্চিত্র এখনো অম্লান। এখনো আমরা তাঁর অভিনীত ছবিগুলো দেখে আবেগতাড়িত হই। সুচিত্রা সেনের পর আরেকজন সুচিত্রা সেন হয়নি। সারাহ বেগম কবরীর মতো আর একজন শিল্পী কখন হবে, সেটি বলা মুশকিল।'বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকারের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, অভিনেত্রী সুজাতা, দিলারা ইয়াসমিন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সোহরাব খান চৌধুরীসহ জোটের অন্য নেতারা। | তথ্যমন্ত্রী,সরকার,রাজনীতি,রাজধানী | তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/09/03/%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a6%bf/ | মিনি কক্সবাজার খেজুরগাছিয়া | মেঘনার ঘোলা জলরাশি আর ঢেউয়ের দোলায় মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার ছুটে চলা যেন সভ্যতার গন্তব্যে গড়ে তুলেছে আপন ঠিকানা। চোখের সামনেই আকাশ যেন নেমে এসেছে নদীর কূলে। বালি আর জলের অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্বই যেন মিনি কক্সবাজারের রূপ নিয়েছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার খেজুরগাছিয়ার এ সৈকতে। উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে এ খেজুরগাছিয়ায় রয়েছে দৈর্ঘ্য ও প্রসস্থে দীর্ঘ আয়তনের সমুদ্র বিচ এবং নদী সংলগ্ন রকমামি উদ্ভিদে ঘেরা সবুজে আচ্ছন্ন কেওরা বন। সংলগ্ন মৎস্য ঘাট থেকে সমুদ্রের পানে ছুটে চলা রং বেরঙের নৌকা ও ট্রলারে করে জাল ফেলার ছবিও যেন শিল্পীর তুলিতে এক জলচিত্র। এছাড়াও খেজুরগাছিয়ার বিচে ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে ঘুরতে আসে শতশত পর্যটক। ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন অপার সম্ভাবনাময় চরফ্যাশনের উপকূলীয় এলাকাগুলো যদি অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ ও পর্যটক আকর্ষণে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাহলে উপজেলার অন্যান্য অঞ্চলের বিনোদনসহ খেজুরগাছিয়া পর্যটন এলাকা থেকেও সরকার লাভবান হবে। এ অঞ্চলে বিনোদনের অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলকে সম্ভাবনাময় পর্যটনের দ্বারপ্রান্তে নিতে চায় স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। আর তাই জ্যাকবের প্রচেষ্টায় চরফ্যাশন ও মনপুরা অঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের পাশাপাশি অসংখ্য বিনোদনমূলক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল কুকরি-মুকরি ইউনিয়নসহ সমুদ্র সৈকত চর তারুয়াকে ইকো টুরিজমের আওতায় আনা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, উপকূল সুরক্ষায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমেই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে রঙিন পর্যটনমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুললেই দক্ষিণের জনপদ চরফ্যাশন হবে পর্যটনের এক সম্ভানার নতুন দিগন্ত। | null | খেজুরগাছিয়া সৈকতে | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/606444/কাবুলে-নারীদের-বিক্ষোভে-কাঁদানে-গ্যাস-নিক্ষেপ | কাবুলে নারীদের বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ | অধিকারের দাবিতে কাবুলে নারীদের এক বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে তালেবান। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা একটি সেতু থেকে হেঁটে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং পিপার স্প্রে ছোঁড়া হয়। কাবুল এবং হেরাতে নারীদের বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের মধ্যে এটি সর্বশেষ। নারীরা বাইরে কাজ করার অধিকার এবং সরকারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি জানিয়েছে এই বিক্ষোভে। তালেবান বলেছে যে, আগামী দিনে তারা তাদের প্রশাসনের গঠন কাঠামো ঘোষণা করবে। তালেবান বলেছে, নারীরা সরকারে যোগ দিতে পারবে, কিন্তু মন্ত্রীর পদে থাকতে পারবে না। অনেক নারী ভয় পাচ্ছেন যে, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময়ে নারীদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছিল, সেই একই আচরণ আবারো করা হবে কিনা। নারীদের বাইরে বের হতে হলে মুখ ঢেকে রাখতে হতো এবং ছোটখাটো অপরাধের জন্যও কঠোর শাস্তি দেয়া হতো। সাংবাদিক আজিতা নাজিমি আফগান টেলিভিশন টোলোকে বলেন, '২৫ বছর আগে, যখন তালেবান এসেছিল, তারা আমাকে স্কুলে যেতে বাধা দিয়েছিল।' 'তাদের শাসনের পাঁচ বছর পর, আমি ২৫ বছর পড়াশুনা করেছি এবং কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য হলেও, আমরা এটি হতে দেব না।' আরেকজন বিক্ষোভকারী সোরায়া রয়টার্সকে বলেন, 'তারা বন্দুকের ম্যাগাজিন দিয়ে নারীদের মাথায় আঘাত করে এবং রক্তাক্ত হয়ে পড়ে।' এদিকে, কাবুলের উত্তরে পাঞ্জশের উপত্যকায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে স্থানীয় যোদ্ধারা তালেবান দখল রুখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে দাবি এবং পাল্টা দাবি রয়েছে। তালেবান বলছে যে, তারা আরো দুটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং প্রদেশটির কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) একজন মুখপাত্র বলেন, প্রচণ্ড লড়াই চলছে এবং হাজার হাজার তালেবানকে ঘিরে রাখা হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তান সোভিয়েত দখলে থাকার সময় এবং তালেবানদের আগের শাসনামলে পাঞ্জশের উপত্যকায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের বাস ছিল। এনআরএফের নেতা আহমদ মাসউদ হেরাতে নারীদের বিক্ষোভের প্রশংসা করেন এবং বলেন পাঞ্জশেরে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। এনআরএফ বা তালেবানদের কোনো দাবিই স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের কার্যক্রম আবারো শুরু হচ্ছে। আফগান বিমান সংস্থা আরিয়ানা তিনটি শহর: হেরাত, মাজার-ই-শরীফ এবং কান্দাহারের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আবারো চালুর ঘোষণা দিয়েছে। আল-জাজিরা টিভি কাতারের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, কাতারের একটি কারিগরি দল বিমানবন্দর আবারো সচল করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ত্রাণবাহী ফ্লাইট চলাচল সম্ভব হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোববার কাতার সফর করবেন। দেশটি আফগানিস্তান বিষয়ে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। তবে ব্লিংকেন এই সফলে তালেবানদের কারো সাথে সাক্ষাতের আশা নেই। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই -এর প্রধান জেনারেল ফয়েজ হামিদ কাবুলে পৌঁছেছেন। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদের কোনো উত্তর দেননি। একজন কর্মকর্তা এই সপ্তাহের শুরুতে রয়টার্সকে বলেছিলেন যে, তিনি তালেবানকে আফগান সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে পারেন। পশ্চিমা পরাশক্তিরা আইএসআই -এর বিরুদ্ধে তালেবানকে মদদ দেয়ার অভিযোগ করে থাকে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সূত্র : বিবিসি | null | কাজ করার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করে আফগান নারীরা | international |
https://www.ajkerpatrika.com/187047/%E2%80%98%E0%A6%88%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E2%80%99-%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AA | 'ঈদ সালামি' অফারের সময় বাড়াল মিনিস্টার গ্রুপ | পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চালু করা 'ঈদ সালামি অফার সিজন-২' এর সময় বাড়িয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ। এই অফার চলাকালীন মিনিস্টারের যেকোনো পণ্য ক্রয় করে গ্রাহক পেতে পারে সর্বোচ্চ নগদ ১১ লাখ টাকা জেতার সুযোগসহ পণ্যের ওপর নিশ্চিত উপহার। এই অফার চলবে এবারের ঈদুল আজহা পর্যন্ত। অনলাইনের পাশাপাশি শো-রুমগুলোতেও চলছে এই অফার।এদিকে মিনিস্টার এসির ওপর চলছে 'এক্সচেঞ্জ' অফার। যেখানে গ্রাহক পুরানো এসি পাল্টে মিনিস্টারের নতুন এসি ক্রয় করতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে ৩০% মূল্যছাড়। আরও থাকছে ০% ডাউন পেমেন্টে সহজ কিস্তিতে মিনিস্টার এসি কেনার সুযোগ। মিনিস্টারের এসিতে রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি, জাপানি ব্র্যান্ড প্যানাসনিকের ১২ বছরের কম্প্রেসর গ্যারান্টি। এ ছাড়া অনলাইনের পাশাপাশি সাড়া দেশেই মার্কেটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে মিনিস্টারের হিউম্যান কেয়ার ও টয়লেট্রিজ পণ্য।'ঈদ সালামি অফার সিজন-টু' সময় বাড়ানোর বিষয়ে মিনিস্টার গ্রুপের হেড অব ব্র্যান্ড এন্ড কমিউনিকেশন কে এম জি কিবরিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে সবার মাঝে নতুন পণ্য ক্রয় করার আগ্রহ বাড়ে। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করে মিনিস্টারের চালু করা 'ঈদ সালামি অফার সিজন-২' আসন্ন ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। যাতে গ্রাহক আনন্দের সঙ্গে মিনিস্টারের পণ্য ক্রয় করতে পারে এবং জিতে নিতে পারে সর্বোচ্চ নগদ ১১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও মিনিস্টারের বিশেষ কিছু পণ্যের ওপরেও রয়েছে বিশেষ ডিসকাউন্ট ও সকল পণ্যের ওপর নিশ্চিত উপহার।যানজটের ভোগান্তি এড়াতে অনলাইন কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছে মিনিস্টার গ্রুপ। সহজ কিস্তিসহ ক্যাশ অন ডেলিভারি ও অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্ডার করে পাওয়া যাচ্ছে মিনিস্টারের পণ্য। আর সময় নষ্ট না করে এখনই ভিজিট করুন ://. এই ঠিকানায় কিংবা কল করুন এই নম্বরে ০৯৬০৬৭০০৭০০। | করপোরেট,ঈদুল ফিতর,ঈদ অফার | ঈদুল আজহা পর্যন্ত 'ঈদ সালামি অফার সিজন-২' এর সময় বাড়িয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ। | economy |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2019/10/23/468605 | রংপুরে নারীসহ চট্টগ্রামের এএসপি আটক, বিয়ের পর পেলেন ছাড়া | রংপুরে তরুণীসহ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এপিবিএন-এ কর্মরত এএসপি কামরুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। রংপুর মহানগরীর বনানীপাড়ার এক বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাদের ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। মেট্রো কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে অভিযানে নামে। এরপর এএসপি কামরুল হাসানকে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের বনানী পাড়ার এক বাড়ি থেকে নারীসহ আটক করা হয়। রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা রোমানা জামান বলেন, ওই তরুণী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তার সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারীর আমজাদ হোসেনের ছেলে এএসপি কামরুল হাসানের। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। শুরুতেই সিওবাজার সরদারপাড়া এলাকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ি ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকা শুরু করে। ওই বাসার মালিক বিষয়টি টের পেয়ে সাত দিন পরই ওই তাদের বের করে দেয়। এরপর তিন মাস আগে বনানীপাড়ার সিদ্দিক হোসেনের বাড়ির দোতালার ফ্ল্যাট সাত হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। এসময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ির মালিককে বলে আমার স্ত্রী এখানে থাকবে। আমি বাইরে চাকরি করি। মাঝে মাঝে আসবো। এভাবে রাজশাহীতে ট্রেনিং থাকা অবস্থায় ওই বাসায় এসে তার সঙ্গে থাকতো ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে ওই তরুণী বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিলে কামরুল হাসান বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন। পরে মেয়েটি আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করে এর প্রতিকার চান। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আলতাফ হোসেন জানান, বিষয়টি থানা দেখছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | নারীসহ আটক পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/11/25/715063 | কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করলেন সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
| সুইডেনের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেছেন ম্যাগদালিনা অ্যান্ডারসন। বুধবার সন্ধ্যায় সংসদে 'বাজেট ডিফিট' এবং দুই দলীয় সংখ্যালঘু সরকারে জোট শরিককে হারানোর পর তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগে সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে অনুমোদন দেয় দেশটির পার্লামেন্ট। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সুইডেনই একমাত্র নর্ডিক দেশ যেখানে এর আগে কোনো নারীকে জাতীয় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়নি। মিসেস অ্যান্ডারসন বর্তমানে দেশটির অর্থমন্ত্রী হলেও বুধবারের ভোটে তিনি জিততে পারেননি। তারপরও তিনি নির্বাচিত হন, কারণ সুইডিশ আইন অনুযায়ী নির্বাচিত হতে তার শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের সংসদে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দেন ১১৭ জন, ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন অনুপস্থিত ছিলেন। সুইডেনের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের দরকার হয় না। তবে, তার বিপক্ষে ১৭৫ জনের কম ভোট থাকতে হয়। সুইডিশ নারীরা ভোটাধিকার পাওয়ার একশ বছর পর, ৫৪ বছর বয়সী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতার বিজয়ে পার্লামেন্টের একাংশ স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেয়। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | পদত্যাগ, সুইডেন, নারী, প্রধানমন্ত্রী | ম্যাগদালিনা অ্যান্ডারসন। | international |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/03/23/1648023579214 | প্রধানমন্ত্রী: আমাদের সিনেমাগুলো এত সুন্দর যে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই | সীমিত সুযোগ ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও এগুলোর মধ্যেই নির্মিত হওয়া বাংলাদেশি চলচ্চিত্রকে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি চলার পথে বা কারও কাছ থেকে সিনেমাগুলো পেলে সেগুলোও আগ্রহভরে দেখে নিজেকে চলচ্চিত্রপ্রেমী হিসেবে দাবি করেন তিনি। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, "আমি জানি সুযোগটা খুব সীমিত। তার মধ্য দিয়ে প্রোডাকশনগুলো এত সুন্দর হয়, আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই।" সিনেমার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যদিও আমি হলে যেয়ে সিনেমা দেখতে পারি না। মাঝে মাঝে প্লেনে যখন যাই, তখন সবসময় আমি আমাদের দেশের সিনেমাগুলো দেখি। অনেকে সিনেমা করে আমাকে পেনড্রাইভে পাঠান, সেটাও আমি দেখি। আমার ভালোই লাগে আমার দেশের সিনেমাগুলো দেখতে।" তিনি আরও বলেন, "শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জন্য আমাদের বাসা সব সময় উন্মুক্ত ছিল। ধানমন্ডি লেক কাটা হয়েছে, আমরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায়। তখনও বাড়িটা সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু লেকের পাড়ে অনেক সময় অনেক শুটিং হতো। সেখানে অনেক শিল্পীরাই আসতো এবং তাদের বসার জায়গাটা ছিল আমাদের বাড়ি। আমার মা নিজের হাতে তাদের চা-নাস্তা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন এবং উৎসাহ দিতেন।" আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "সিনেমা শিল্প একটা সময় খুবই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া, করোনাভাইরাস মহামারির সময় চলচ্চিত্রক্ষেত্র যে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা যেহেতু কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, আমি চাই এ শিল্পটা আরও গড়ে উঠুক। শিল্পী, কলা-কুশলী সবাই যাতে সুযোগ পায় সে জন্য ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করে দিয়েছি। আমরা সিড মানির ব্যবস্থাও করেছি।" চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ও ট্রাস্ট ফান্ড তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, "আমি চাই যারা বিত্তবান তারা বেশি করে এই ফান্ডে টাকা রাখেন। আমাদের বহু চিত্রশিল্পীরা যখন বয়োঃবৃদ্ধ হয়ে যান, অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলের করুণ অবস্থা হয়। আমি সরকারে থাকি আর বিরোধী দলে থাকি সবসময় খোঁজ-খবর রাখতাম। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি সবাইকে সহযোগিতা দিতে। বিপদে-আপদে তারা যেন চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা পেতে পারেন, সেজন্য এ ফান্ড করেছি।" আধুনিক যুগে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যদিও এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, আমাদের সিনেমা শিল্পটা আসলে অনেকটা সেই অ্যানালগ সিস্টেমেই রয়ে গিয়েছে। সেটাকে আমি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন করতে চাই। মানুষের বিনোদনের সুযোগ সিনেমা। তারা দেখতে চান। যারা মালিক তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাদের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আসলে মাঝখানে একটু ভাটা পড়ে যাওয়াতে অনেকে সেই উদ্যোগে ছিল না। এখন আমরা ১ হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড তৈরি করে রেখেছি। আমি চাই আমাদের জেলা-উপজেলা সব জায়গায় সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হোক। যেখানে যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্র দেখানো যায়।" শেখ হাসিনার ভাষ্যমতে, চলচ্চিত্রে জীবন দর্শন প্রকাশ পায়। ইতিহাসের বার্তাবাহক চলচ্চিত্র। তাই বিনোদনের সঙ্গে শিক্ষামূলক নির্মাণে উৎসাহ দিয়ে নির্মাতাদের প্রতি তার আহ্বান, "বিনোদনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ সংস্কার, মানুষকে শিক্ষা দেওয়া, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া-চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আহ্বান জানাবো, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন, আমাদের গণমানুষের যে আত্মত্যাগ এবং আমাদের এগিয়ে চলার পথ যেন মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন হয়। মানুষ যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে পারে এবং আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন নিজেদের জীবন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। সেভাবেই শিল্পগুলো তৈরি করে আপনারা মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন।" | চলচ্চিত্র,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,প্রধানমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা | national |
https://www.dailynayadiganta.com/Incident-accident/592021/মগবাজার-বিস্ফোরণে-মারা-গেলেন-রাসেলও-মোট-মৃত্যু-১১ | মগবাজার বিস্ফোরণে মারা গেলেন রাসেলও, মোট মৃত্যু ১১ | মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেছেন বেঙ্গল মিটের কর্মী মো: রাসেল (১১)। বিস্ফোরণের পাঁচ দিন আগে এ প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার চাচা মো: বজলুর রহমান। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, রাসেলের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। রাসেলের চাচা মো: বজলুর রহমান বুধবার একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের একটি সরকারি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন রাসেল। তার বাবা একজন কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাসেল বড়। কলেজ বন্ধ থাকায় তিনি বসে না থেকে নিজে উপার্জনের আশায় ছয় মাস আগে ঢাকায় আসেন। বিস্ফোরণের পাঁচ দিন আগে বেঙ্গল মিটে চাকরি নিয়েছিলেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান মোহাম্মদ নুর নবী নামে আরেকজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পার্থ শঙ্কর পাল। রোববার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে আড়ংয়ের পাশে একটি ভবনে শক্তিশালী বিস্ফোরণে ঘটনার দিন সাতজন নিহত এবং ৬৬ জনেরও বেশি আহত হয়। | মগবাজার বিস্ফোরণ | মো রাসেল | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/আকস্মিক-বিকট-শব্দে-লঞ্চের-সবাই-আতঙ্কে-ছোটাছুটি-করছিলেন | 'আকস্মিক বিকট শব্দে লঞ্চের সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি করছিলেন' | গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে সুরভী-৭ নামের একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ১১টার দিকে লঞ্চটি ধলেশ্বরী পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি ধাক্কা খেলে বিকট শব্দ হয়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে অনেকে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। আবার অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সময় আকস্মিক বিকট শব্দ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে যাত্রীরা জানতে পারেন লঞ্চের সঙ্গে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই লঞ্চের যাত্রী আরিফ হোসেন এভাবেই গতকাল রাতের ওই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষের পর ওই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। আর লঞ্চটির সামনের অংশ ফেটে যাওয়ায় অল্পের জন্য লঞ্চের যাত্রীরা রক্ষা পান। পরে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হলে এমভি কীর্তনখোলা-১০ নামের একটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে আসে। কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বরিশালে পৌঁছেছে। মুন্সিগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস প্রথম আলোকে বলেন, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর মোহনার অদূরে চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সুরভী-৭ লঞ্চের পরিদর্শক মো. সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে সামনের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আবার বাল্কহেডটিতেও কোনো আলো ছিল না। তাই লঞ্চের সার্চ লাইট কুয়াশা ভেদ করে বাল্কহেডটিকে দেখতে না পাওয়ায় বাল্কহেডটি সোজা লঞ্চের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে লঞ্চের সামনের অংশ কিছুটা ফেটে যায়। লঞ্চের আরেক যাত্রী মোসাদ্দেক হাসিব বলেন, মানামী, সুরভী ও পারাবাত-এই তিন লঞ্চ নদীতে প্রতিযোগিতা করে চালাচ্ছিল। বাল্কহেডে আলো না থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তবে এমনভাবে নদীতে প্রতিযোগিতা করে লঞ্চ চালানো উচিত নয়। প্রতিযোগিতার কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চমালিক মো. রিয়াজ উল কবির প্রথম আলোকে বলেন, পানির উচ্চতা থেকে এক হাত ওপরে লঞ্চের সামনের অংশে সামান্য ছিদ্র হয়েছে। লঞ্চটি নদীর তীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। লঞ্চের আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুরভী লঞ্চের যাত্রীরা পরে অন্য একটি লঞ্চে নিরাপদে বরিশাল বন্দরে পৌঁছে গেছেন। সুরভী লঞ্চটি দুর্ঘটনাস্থলে আছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। | মুন্সিগঞ্জ,বরিশাল,নৌ পরিবহন,নৌ দুর্ঘটনা,নৌ যোগাযোগ,দুর্ঘটনা | এম ভি সুরভী-৭ | national |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/জামায়াত-আর-এরশাদ-এখনো-তুরুপের-তাস | জামায়াত আর এরশাদ এখনো তুরুপের তাস | ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে মার্শাল ল জারি হয়েছিল পাকিস্তানে। জেনারেল আইয়ুব খান তখন ক্ষমতার শীর্ষে। ১৯৫৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেটি শিকেয় উঠল। আইয়ুব খান সিদ্ধান্ত নিলেন, নির্বাচন হবে। তবে সেটি হলো স্থানীয় সরকারের। তখন বলা হতো ইউনিয়ন কাউন্সিল। প্রচারমাধ্যমে সুর করে বলা হতো, 'শোনেন শোনেন সভাজন ভাই, আবার হবে নির্বাচন।' এর রেশ এখনো কানে বাজে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চারদিকে একই আওয়াজ-আবার হবে নির্বাচন। তবে এটি জাতীয় সংসদের। যাঁরা আমাদের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হবেন, তাঁরা এখন জিবে শাণ দিচ্ছেন।এবারের নির্বাচনে অনেক রেকর্ড তৈরি হচ্ছে বা হবে। তার একটি হলো প্রার্থী ও দলের সংখ্যা। দলের সংখ্যা অগুনতি। তারা অনেকে মিলে আবার 'জোট' বানিয়েছে। তো জোটের সংখ্যাও বেশ কয়েকটি। জোটের নেতারা সবাই তাঁদের জোটভুক্ত সব দলের নাম বলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এদের বেশির ভাগেরই নিবন্ধন নেই। তাতে কী? দল বানানোর স্বাধীনতা তো আছে। ছোটবেলায় স্কুলে পড়েছি, 'কয়েকটি ঘর লইয়া একটি বাড়ি হয়।' এখন কয়েকটি লোক লইয়া একটি দল হয়, কয়েকটি দল লইয়া একটি জোট হয়।নির্বাচনের ময়দানে মুখ্য জোট দুটি। একটি হলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে 'মহাজোট', অন্যটি হলো বিএনপিকেন্দ্রিক 'জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট'। দুই জোটেই ধর্মাশ্রয়ী দলের ছড়াছড়ি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এদের সংখ্যা কম, মহাজোটেই বেশি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কথা বুলন্দ আওয়াজে যতই ডংকা বাজানো হোক না কেন, 'মুসলমান' ভোটব্যাংকটির দিকে নজর উভয় পক্ষেরই। ঐক্যফ্রন্টের ঘরের মধ্যে একটি অদৃশ্য জানালা আছে। সেটি হলো ২০-দলীয় জোট। তার অন্যতম শরিক হলো জামায়াতে ইসলামী। দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেলেও তার অবস্থান পাল্টায়নি। এই দলের লোকেরা ঐক্যফ্রন্টের মার্কা 'ধানের শীষ' নিয়ে লড়বেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী মহলে গুঞ্জন-দেখো দেখো, কামাল-রব-সিদ্দিকী-মান্নারা জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। ছি ছি, কী অধঃপতন! ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিল, তার আগে আওয়ামী লীগ ধর্মান্ধ খেলাফত মজলিশের সঙ্গে একটি পাঁচ দফা চুক্তি করেছিল। চুক্তির অন্যতম দফা ছিল 'আলেম'দের ফতোয়া দেওয়ার অধিকার মেনে নেওয়া। ওই নির্বাচনটি আর হয়নি। ওই চুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগও পরে আর উচ্চবাচ্য করেনি। কিন্তু সরলপ্রাণ মুসলমান ভোটারের ধর্মীয় অনুভূতিতে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোট নেওয়ার কৌশল থেকে দলটি পিছিয়ে এসেছে-এ কথা বলা যাবে না। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক মোলাকাত ও বোলচাল সে রকমই ইঙ্গিত দেয়। 'হেফাজত' কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এর প্রধান নেতা আল্লামা শফী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে এত ভালো দল, শেখ হাসিনা যে এত খাঁটি মুসলমান, এটা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। এখন তিনি খাঁটি সোনা চিনতে পেরেছেন। তিনি এ-ও বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম কোনো দলের হয়ে কাজ করবে না। যদি কেউ করেন, তিনি তা নিজ দায়িত্বে করবেন। হেফাজতের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক আছে। আছে সারা দেশ অচল করে দেওয়ার ক্ষমতা। এই ক্ষমতার একটি নমুনা তাঁরা দেখিয়েছিলেন ২০১৩ সালে ঢাকার মতিঝিলে, শাপলা চত্বরে। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক, একরকম সমঝোতা করে তাঁদের আপাতত 'নিউট্রালাইজ' করতে পেরেছেন। এটি তাঁর রাজনৈতিক পারঙ্গমতার প্রমাণ।কিন্তু মহাজোটের কোলের মধ্যে বসে আছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আওয়ামী লীগ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। ইতিহাস কিন্তু বলে অন্য কথা। অসমসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মঞ্জুর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একাত্তর সালে কর্মরত এরশাদ। তাঁর একসময়ের প্রধানমন্ত্রী এবং শুরু ও শেষের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী এরশাদ সম্পর্কে একটি তথ্য ফাঁস করেছিলেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য পাকিস্তানি সেনা কর্তৃপক্ষ যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল, তৎকালীন লে. কর্নেল এরশাদ ছিলেন তার চেয়ারম্যান। তো এ রকম একজন মহাজন ব্যক্তি মহাজোটে আলো ছড়াচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে দায়ের করা মঞ্জুর হত্যা মামলাটি এখনো বিচারাধীন, নিষ্পত্তি হয়নি ২২ বছরেও। রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই মামলাটির মীমাংসা হয়। এটি শিগগিরই হচ্ছে না। কেননা, এরশাদ হলেন মহাজোটের তুরুপের তাস, যেমনটি হলো বিএনপির জন্য জামায়াত। বিএনপি ভালো করেই জানে, জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচনের পুলসিরাত পার হওয়া অসম্ভব। আওয়ামী লীগও বুঝে গেছে, মুশকিল আসান করে দেবেন এরশাদ তথা তাঁর জাতীয় পার্টি।তারপরও স্বস্তিতে নেই কেউ। বিএনপি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে দল ভারী করেছে। আওয়ামী লীগও 'যেখানে দেখিবে ছাই, কুড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার মানিক রতন'-এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বিকল্পধারাকে আঁচলে বেঁধেছে। বিপরীত মেরুর মানুষদের নিয়ে নতুন এই মেরুকরণ এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শেষমেশ কিন্তু নজর থাকবে জামায়াত আর এরশাদের দিকেই। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে তারা যে নিয়ামক হতে পারে, এটি অতীতেও দেখা গেছে। আদর্শ-ফাদর্শ-এসব হলো ছেঁদো কথা। লক্ষ্য হাসিলের জন্য যে কাউকেই সঙ্গী হিসেবে নেওয়া চলে। ইংরেজিতে বলা হয়, ইন পলিটিকস, ইউ স্লিপ উইথ স্ট্রেঞ্জ বেড-ফেলোজ-টুডে উইথ ওয়ান, টুমরো উইথ সামবডি এল্স। মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক | মহিউদ্দিন আহমদ,একাদশ সংসদ নির্বাচন,রাজনীতি,নির্বাচন,জামায়াত | এইচ এম এরশাদ। ফাইল ছবি | opinion |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/21/%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87/ | হিন্দুদের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী | আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাংলাদেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা এবং সরকারের ওপরও হামলা। এটি করে তারা সরকারের ওপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো সরকারের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায় এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা এই হামলাগুলো করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: দেলদার হোসেনের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মালেক এবং নওগাঁ জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে বিএনপি-জামাত। ভোটের সময় ভারত বিরোধী শ্লোগান কারা দেয়, এই বিএনপি দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া বারণ কারা করে, এই বিএনপি-জামাতই করে। কোরআন শরিফ যে একজন মুসলমান যুবক রেখে এসেছিল, সেটিতো তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সে ধরা পড়লে বোঝা যাবে কার ইন্ধনে সে এটি করেছে। সবকিছু যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে ।তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মুখটা চুপসে যাবে। কুমিল্লা ও পীরগঞ্জের ঘটনার প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। সুতরাং যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছে এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেটি সরকার দমন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্রটা করেছিল তারা আরো ষড়যন্ত্র করবে। কারণ তারা সময়ে সময়ে এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। পদ্মাসেতুর নির্মাণের শুরুতে গুজব রটিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে এবং অতিসম্প্রতি পূজামন্ডপে কোরআন শরিফ রেখে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। আমরা তাদেরকে দমন করেছি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র এবং কুচক্র পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে সেটি আমি মনে করি না। এর আগে, ধামইরহাট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতি আছে, তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, প্রতিবেশিদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্কের ওপর কালিমা লেপন করার হীন উদ্দেশ্যে দুর্গাপূজাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের সরকার দৃঢ় হাতে সেটি দমন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমাদের দল অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। তবে তাদের উদ্দেশ্যহীন, তারা এ ধরনের আরো গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। তাই আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো যে, আপাতত এই দুস্কৃতিকারীরা নিবৃত্ত হয়েছে মনে হলেও আমাদেরকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। | null | তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/06/10/777703 | নলছিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু | ঐক্য, সেবা ও সমৃদ্ধিকে মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত অরাজনৈতিক, মানবিক ও সমাজ সেবামূলক সংগঠন নলছিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এসএম রেজাউল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইসমাইল হোসেন ইমন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন লেখক, সাংবাদিক আহমেদ আল আমীন। এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনে দুই বছর মেয়াদী ৪১ সদস্যের কমিটির অন্যান্য পদে রয়েছেন সিনিয়র সহসভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মো. নবিউজ্জামান মিরন, মো. ওবায়দুর রহমান, মো. আনিছুর রহমান শাহীন, মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও মো. সোহেল আকন; যুগ্ম সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মো. আতিয়ার রহমান সোহেল ও মো. রুবেল হোসেন রানা; সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাজহারুল ইসলাম তুহিন;সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাদল রশিদ খান; দপ্তর সম্পাদক মো. গোলাম রসুল নয়ন;সহদপ্তর সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বাপ্পী; কোষাধ্যক্ষ মো. ইমাম হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাজু তালুকদার;পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম নয়ন;সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কেএম নাহিদ আনাম;স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মু. মুনিবুর রহমান জুয়েল;তথ্য সম্পাদক মো. সুমন হাওলাদার;শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মো. সাজিদ মাহমুদ শাওন; আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার এসএম মঈনুল করিম; কৃষি, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পাদক কৃষিবিদ মো. সাইফুল্লাহ সাইফ; নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোসা. রাহিমা;ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আশিকুজ্জামান রাহাত;বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. সোহার্দো-বিন-হক (শুভ); পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মো. শামিম হোসেন;দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. রিপন হাওলাদার;ধর্ম ও নৈতিকতা বিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম। এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন মো. খলিল, অপু রায় চৌধুরী, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মর্তুজা সুমন, খাইরুল ইসলাম, সুমাইয়া বন্যা, মো. রফিকুল ইসলাম মামুন, মো. মাহবুব হোসেন ও মো. রায়হান ব্যাপারী। বিডি প্রতিদিন/এএ | null | এসএম রেজাউল করিম বাঁয়ে এবং মো. ইসমাইল হোসেন ইমন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/15/%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a8/ | টেলিটকে থাকছে না ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদ | টেলিটকে থাকছে না ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা। অর্থাৎ যতদিন ডাটার ব্যালেন্স থাকবে ততদিন গ্রাহক তার কেনা ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে মোবাইল অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এই প্রথমবারের মতো মোবাইল ডাটার কোনো মেয়াদ রাখার সীমাবদ্ধতা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এলো। টেলিটকের পর অন্য অপারেটরসমূহ পর্যায়ক্রমে এই ব্যবস্থা চালু করবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমার ডাটা আমি ব্যবহার করবো, যতদিন ব্যালেন্স থাকবে ততদিন করবো- গ্রাহকদের এটাই দাবি। আমরা সেই দাবিই বাস্তবায়ন করছি। কলড্রপের ফলে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টিও গুরত্বের সঙ্গে দেখার জন্য তিনি মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ডিজিটাল সেবা সবার জন্য সহজলভ্য এবং ন্যায়সঙ্গত হোক এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো কিছু নির্দেশ দিয়ে নয় আমরা অপারেটরদের সঙ্গে সবসময় এক টেবিলে বসে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। তিনি ইন্টারনেটকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ডাটা যত বেশি সম্প্রসারণ করতে পারবো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তত বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবো। এ সময় তিনি ইন্টারনেটের সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সংযোগ নিশ্চিত করতে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি কল ড্রপ সংকট সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। | ইন্টারনেট,টেলিটক,মেয়াদ | মঙ্গলবার ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে মোবাইল অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী | national |
https://www.ajkerpatrika.com/152155/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87 | এক লাখ মানুষ থাকবেন ওয়ার্নের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে | চার দিন পেরিয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের অকালপ্রয়াণ কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এখনো অবিশ্বাসের ঘোরে বন্দী পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। থাইল্যান্ডের কোহ-সামুইয়ে তিন বন্ধুকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে আকস্মিক হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ওয়ার্ন। থাইল্যান্ড থেকে অবশেষে এই কিংবদন্তির নিথর দেহ আজ অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার কথা।ময়নাতদন্তে স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে ওয়ার্নের। কিংবদন্তি ওয়ার্নের শেষকৃত্য হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। ১৯৬৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওয়ার্ন। তাঁর ক্যারিয়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের সঙ্গে দারুণভাবে জড়িয়ে আছে মেলবোর্ন।সব মিলিয়ে নিজ শহরেই শেষ কৃত্য আয়োজন করা হচ্ছে ওয়ার্নের। এই অজি কিংবদন্তির শেষকৃত্য এক লাখ মানুষ থাকবেন, এমনটাই জানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদগুলো। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কখন হবে ওয়ার্নের শেষকৃত্য। এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি কেউ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।থাইল্যান্ডে ওয়ার্নের সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের ম্যানেজার জেমন এর্সকিন। এই কিংবদন্তি স্পিনারের শেষ সময়ের নানা বিষয় তিনিই সবাইকে বলেছেন। তাঁর মতে, ওয়ার্নের শেষকৃত্যের জন্য মেলবোর্নই সঠিক জায়গা। ওয়ার্নের শেষকৃত্য উপস্থিত থাকবেন তাঁর পুরো পরিবার। ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে শেষকৃত্য আয়োজন করা হবে। | খেলা,অস্ট্রেলিয়া,ক্রিকেট,শেন ওয়ার্ন | শেন ওয়ার্নের শেষকৃত্য হবে মেলবোর্নে। | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/111325/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E2%80%99 | সাড়া ফেলেছে 'আমার বাংলাদেশ' | বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চমৎকার সব ভিডিও উপহার দিয়েছেন নির্মাতারা। বিশেষ করে নজর কেড়েছে 'আমার বাংলাদেশ' নামের একটি ভিডিও। মেরিল-রাঁধুনী নিবেদিত ভিডিওটি ১৫ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে একযোগে প্রকাশ করা হয় ১৪টি টিভি চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।মুক্তির পর দর্শক 'আমার বাংলাদেশ'-এর প্রশংসা করেছেন। অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি মানুষ দেখেছে 'আমার বাংলাদেশ'। ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে বাংলাদেশের সৌন্দর্য, মানুষের আতিথেয়তা, উৎসব, সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িকতা তুলে ধরা হয়েছে।মেরিল-রাঁধুনীর উদ্যোগে, সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে নির্মিত ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের রূপচিত্র, পর্যটন ও গৌরবকে বিশ্বের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা।আমার বাংলাদেশে জুঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিদ্রা দে নেহা আর লরা চরিত্রে ব্রিটিশ নাগরিক অ্যালেক্স ডবসন। নেহা বলেন, 'এটি গতানুগতিক কোনো ট্র্যাভেল ভিডিও নয়, আমাদের দেশ কত সুন্দর, মানুষ কত আন্তরিক তা নতুন করে জানা যাবে ভিডিও দুটি দেখে।'অ্যালেক্স বলেন, 'বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম আসা। আমি একজন থিয়েটার কর্মী। কাজটি করতে গিয়ে এ দেশের মানুষ, প্রকৃতির সঙ্গে আমিও মিশে গেছি। বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় সত্যিই অনেক কষ্ট হয়েছে।' | বিনোদন,টেলিভিশন,ভিডিও,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন,বিজয়ের ৫০ | 'আমার বাংলাদেশ' ভিডিওর দৃশ্য | national |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/বাসের-নিচে-সংসার-পেতেছেন-পান্না | বাসের নিচে সংসার পেতেছেন পান্না | অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে একটা বাস আসে। ঢাকা মেট্রো ঝ ১১০১৩৬। কারওয়ান বাজারে প্রগতি ইনস্যুরেন্সের বিশাল উঁচু ভবনের গা ঘেঁষে বাসটা পার্ক করা থাকে নয়টা-পাঁচটা। কাছেই প্রথমার বইবিতান, সামিট ভবন, সিএ ভবন। বাসটার পাশে আরও নানা ধরনের গাড়ি পার্ক করা, সেসবের চকচকে ছাদে রোদ ঠিকরায়, ডাবওয়ালাদের দায়ের গায়ে সেই রোদ প্রতিফলিত হয়। এই একটা বাসের নিচে এসে বিছানা পাতে একটা সংসার। একটা পলিথিন, একটা বালিশ। বহুদিন দেখেছি, এই বাসের নিচে চার চাকার মধ্যকার সামান্য ছায়ায় ঘুমোচ্ছে একটা দুগ্ধপোষ্য শিশু। বুকটা কেঁপে ওঠে, অফিস ছুটির পর ঘরমুখী যাত্রীদের বাসে তুলে নিয়ে বাসটা যখন স্টার্ট নেবে, বাচ্চাটা তার আগেই মায়ের কোলে ওঠে তো? প্রগতি ভবনের দক্ষিণ পাশের পাটাতনে বসে ৫ নভেম্বর ২০২০ কথা বলি এই পরিবারটির সঙ্গে। মায়ের নাম পান্না। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০। তাঁর সাত বছর বয়সে তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁদের বাড়ি যশোর থেকে গিয়েছিলেন মাইজদী চৌমুহনী। সেখানে তিনি হারিয়ে যান। মানে, সাত বছরের পান্না মাইজদীতে বাবাকে হারিয়ে একা হয়ে গেল। শুরু হলো একা একা তার বেঁচে থাকার সংগ্রাম। কল্পনা করতে পারি, ছোট্ট মেয়েটি বাবা বাবা বলে কাঁদছে। কেউ তাকে একটা বিস্কুট কিনে দিচ্ছে, কেউ হয়তো দিচ্ছে একটা রুটি। শুরু হলো পান্নার টোকাই জীবন। রাস্তায় ঘুমানো, চেয়েচিন্তে কাগজ শিশি-বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে কোনোমতে দিন গুজরান। বছর দুয়েক পরে ৯ বছরের পান্না উঠে পড়ল ট্রেনে। নামল ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে হেঁটে পৌঁছাল কারওয়ান বাজারে। কারওয়ান বাজার কাউকে ফেরায় না। পান্না ফুটপাতে ঘুমায়। কাঁচাবাজারে সবজি টোকায়। হোটেলে হোটেলে পানি দেয়। দিন চলে যায়। পান্নার বয়স যখন ১৪ কিংবা ধরা যাক ১৬, তখন বাবুল নামের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেল। বাবুলও কারওয়ান বাজারের আড়তে মুটের কাজ করতেন। আগের মতোই কারওয়ান বাজারের লাগোয়া নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ কিংবা বলা চলে ভিআইপি সড়কের ফুটপাতে তাঁরা থাকেন। বৃষ্টির দিনে পলিথিন দিয়ে কোনো ভবনের দেয়াল ঘেঁষে ত্রিভুজাকার ছাউনি বানিয়ে নেন। দিন যায়। তিনটা বাচ্চা হলো পান্নার। এখন, ২০২০-এ পান্নার সঙ্গে থাকে তাঁর বড় মেয়ে লাবণী (১৪), ৮ বছরের ছেলে হাসান, আর ২ বছর ৫ মাসের মরিয়ম। আমি মরিয়মকে তার এক মাস দুই মাস বয়স থেকেই এই বাসের নিচে শুয়ে থাকতে দেখেছি। পান্নাকে বলি, স্বামী কই? পান্না জানান, স্বামীর মাদারীপুরের বাড়িতে আগে থেকেই বউ ছিল, এই সংসার ফেলে সে পালিয়ে গেছে। কিশোরী লাবণী আর বালক হাসান খুবই চটপটে। মাকে কোনো প্রশ্ন করা হলে তারা দুজন আগে আগে উত্তর দেয়। লাবণী পড়ে ক্লাস ফোরে। আগে এই এলাকাতেই তার স্কুল ছিল। সাজেদা ফাউন্ডেশনের স্কুল। পরে স্কুলটা চলে গেছে সদরঘাট। সেখানে 'রাজাদৌড়ি' সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে লাবণী। সদরঘাটে সাজেদা ফাউন্ডেশনের হোস্টেলেই সে থাকত করোনাকালের আগে। এখন স্কুল বন্ধ। হোস্টেল বন্ধ। ১৪ বছরের লাবণী রাস্তায় থাকে। রাস্তায় ঘুমায়। অফিস টাইমে প্রগতি ভবনের পাশে বাসের নিচে এসে আশ্রয় নেয়। তার হাতে সিগনেচার পেনের সেট। নানা রঙের কলম। সে ছবি এঁকেছে। আমাকে সে ছবি দেখায়। বেলা একটা। তারা বলল, আজ তাদের খাওয়া হয়নি। পান্না কারওয়ান বাজারে একটা হোটেলে ২০ কলসি পানি দেন। 'কোন দোকান?' হাসান জবাব দেয়, 'আব্বাস ভাইয়ের দোকান।' পান্না পান দুই শ টাকা। আজ তাঁর শরীরটা ভালো নয়। আজ তিনি কাজে যাননি। টাকা নেই। তাই খাওয়া নেই। হাসান পড়ে ভিআইপি সড়কের পশ্চিম দিকের 'পান্তারোডে' খান হাসান আদর্শ বিদ্যালয়ে। কোন ক্লাসে? 'শিশু শ্রেণিতে।' বড় হয়ে কী হবা? স্বপ্ন কী? জীবনের লক্ষ্য কী? লাবণী বলে, 'আমার স্বপ্ন ড্যান্সার হব। সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে তাদের গান শেখাত। নাচ শেখাত।' সে আরক্তমুখে গান শোনায়, 'ঝুনঝুন ময়না নাচো না!' হাসান বড় হয়ে বাস চালাতে চায়। দেশ এগোচ্ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছি। মুজিব বর্ষে সবার জন্য বাড়ির কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওরা কি জানে, মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকে ছাড়াচ্ছি? এই সব উন্নয়নের স্পর্শ কি পান্না, লাবণী, হাসান, মরিয়মরা পায়? কিছু তো পায়, না হলে ওরা স্কুলে যেতে পারে কীভাবে? কিন্তু খুব বৃষ্টিতে যখন ফুটপাত ভেসে যায়, সে রাতে কই যায় ওরা? আমি বলি, পান্না বলুন, আপনার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের ঘটনা কী? তিনি বলেন, আমার জীবনে তো কোনো আনন্দ নাই। পুরাটাই দুঃখ। 'লাবণী, বলো, তোমার জীবনের আনন্দ কী?' 'যখন স্কুলে আমাদের গান করায়, নাচ করতে বলে, অনুষ্ঠানে নাচি, তখন আমার আনন্দ!' লাবণী বলে। পান্না মরিয়মকে দুধ খাওয়াতে শুরু করেন। এই গনগনে আলোর নিচে লোকসমাগমের মধ্যেই তাঁর সংসার। কোনো সংকোচ নেই, আবার আবরু রক্ষার কায়দা তাঁর রপ্ত। আমি বলি, 'সমাজকল্যাণ দপ্তর আপনাদের শেল্টারে নিতে চাইলে যাবেন?' 'হ। যামু।' 'ফোন নম্বর দেন।' ফোন নাই। ঠিকানা নাই, ঘর নাই, চুলা নাই, চাল নাই। আমি কী রকমভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ! আনিসুল হক: প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও সাহিত্যিক | সমাজ,আনিসুল হক,লেখকের কলাম | পান্না ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্য | opinion |
https://samakal.com/bangladesh/article/1609238371/প্লানেট-৫০-৫০-চ্যাম্পিয়ন-ও-এজেন্ট-অব-চেঞ্জ-অ্যাওয়ার্ড-গ্রহণ-করলেন-প্রধানমন্ত্রী | ;প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন; ও ;এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড; গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী |
নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য 'প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' এবং 'এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়াড' গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরের ইউএন প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ দুই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। খবর বাসসের
পুরস্কার পাওয়ার পর তা বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পুরস্কার আমাদের নারীদের জন্য এক স্বীকৃতি, যারা আমাদের পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও রিপাবলিক অব মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারি লুইস কোলেরো প্রেকা এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টিকও এ বছর এ পুরস্কার পেয়েছেন।
ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লক্ষ্মী পুরি অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব্যের পর পুরস্কারজয়ী তিন নারীর জন্য মানপত্র পড়ে শোনান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই পৃথিবীর জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা নারী-পুরুষ সকলের দায়িত্ব। মানব ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা পৌঁছেছি, যখন নারী-পুরুষের সমান অধিকার কেবল আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন।
| প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা | পুরস্কার গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবাসস | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/210357048/অর্থনৈতিক-অগ্রগতিতে-বাংলাদেশ-উজ্জ্বল-দৃষ্টান্ত-জো-বাইডেন | অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: জো বাইডেন | অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে দেশটির প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের 'মুজিব চিরন্তন' অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের মঞ্চে এ ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগের দেশ হিসেবেও অভিহিত করেন জো বাইডেন বলেন। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন বলেন, আমি আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে এ অভূতপূর্ব অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাইডেন তার অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এটি বিশ্বে উদারতা ও মানবতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র অংশীদার হিসেবে কাজ করবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমার প্রশাসন এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি উভয় দেশের প্রতিশ্রুতি দৃঢ় অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। আগামী ৫০ বছর এবং তারও পরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যৎ তৈরিতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। | জো বাইডেন,বাংলাদেশ,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন | national |
https://www.prothomalo.com/business/ইন্টারনেটের-খরচ-বাড়ানোর-আয়োজন | ইন্টারনেটের খরচ বাড়ানোর আয়োজন | ধরা যাক, ময়মনসিংহের স্থানীয় পর্যায়ের একজন ইন্টারনেট গ্রাহক যে টাকায় ও গতিতে গুগল ফেসবুকের কনটেন্ট পেতেন, আগামী দুই মাস পর আর তা পাবেন না। তাঁর খরচ বাড়বে এবং কনটেন্টের ডেটা পেতে গতিও কমবে। কারণ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করার জন্য ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার তুলে নিতে নির্দেশ দেয়। এ জন্য তারা ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়। সে হিসেবে আগামী ৩১ জুলাই এ সার্ভার তুলে নেওয়ার শেষ সময়। গুগল বা ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা বাড়াতে এবং দ্রুত ও সহজে সেবা দিতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেটার জন্য ক্যাশ সার্ভার বসিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো থানা পর্যায়ের একজন গ্রাহক গুগল বা ফেসবুকে যখন কোনো কনটেন্ট খুঁজবে, তখন তা প্রথমবার এই টেক জায়ান্টদের মূল সার্ভারে গিয়ে হিট করবে। সেখান থেকে ওই ডেটা স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারে জমা হবে। এরপর একই কনটেন্ট যদি আবার কেউ খুঁজতে যায়, তখন স্থানীয় সার্ভার থেকেই পাবে। ফলে পুনরায় পুরো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। একদিকে 'এক দেশ এক রেট' কর্মসূচি, ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার বন্ধের নির্দেশনা। প্রশ্ন উঠেছে ইন্টারনেটের দাম কি সরকার কমাচ্ছে, না বাড়ানোর আয়োজন করছে। সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তারা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা বলছে, স্থানীয় পর্যায়ে যাঁরা আইএসপি ব্যবসা করেন, তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। আগামীকাল বুধবার বিটিআরসির সঙ্গে আইএসপিএবির অনলাইনে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিটিআরসি স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করতে বলেছে। সরকার আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েতে (আইআইজি) নিরাপত্তা ডিভাইস বসিয়েছে। তাহলে স্থানীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ক্যাশ সার্ভার বন্ধের কোনো অর্থ দেখি না। নিরাপত্তাজনিত কোনো ইস্যু হলে সরকার তা আইআইজি থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সে সময় সরকার কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রেখেছিল। তখন ক্যাশ সার্ভার পর্যন্ত সরকারকে আসতে হয়নি। সরকার আইআইজি থেকেই বন্ধ করতে পেরেছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে ট্রান্সমিশন খরচ বাড়বে, ইন্টারনেটের গতি কমবে এবং গ্রাহক পর্যায়েও খরচ বাড়বে। দেশে যদি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ হয়, সেখানে ক্যাশ সার্ভারে স্থানীয় পর্যায়ে গুগল ও ফেসবুকের ট্রাফিক হচ্ছে চার থেকে পাঁচ গুণ। সরকার যেখানে 'এক দেশ এক রেট' বলছে, সেখানে ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করা হলে স্থানীয় পর্যায়ে ৫০০ টাকায় ১ এমবিপিএসও দেওয়া যাবে না। স্থানীয় পর্যায়ে দেশে ৮০ ভাগের বেশি গুগল ও ফেসবুক ব্যবহৃত হয়। ৬ জুন বিটিআরসি 'এক দেশ এক রেট' নামে এক কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দিয়েছে। সেখান মাসে ৫ এমবিপিএসের (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) দাম ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ২০০ টাকা। আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, সরকার ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড লাইন পৌঁছানোর নানান উদ্যোগ নিয়েছে। যদি স্বল্প খরচে ভালো মানের ইন্টারনেট পৌঁছাতে চায়, তাহলে ক্যাশ সার্ভার তুলে নেওয়ার নির্দেশ সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, বিটিআরসি বলছে যে শুধু নেশনওয়াইড আইএসপির কাছে ক্যাশ সার্ভার থাকবে। কিন্তু সব নেশনওয়াইড আইএসপি প্রান্তিক পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশে ৩০০-এর বেশি ক্যাশ সার্ভার রয়েছে, যার অর্ধেকের মতো স্থানীয় পর্যায়ে বসানো হয়েছে। গুগল ও ফেসবুক এই সার্ভার দিয়ে থাকে এবং তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী থানা বা বিভাগভিত্তিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কনটেন্টের জন্য এই ক্যাশ সার্ভারগুলো যদি ওপরের দিকে উঠে আসে, তাহলে এখান থেকে থানাতে যাওয়ার আইএসপিগুলোর খরচ বেড়ে যাবে। আর আইএসপিগুলো সেই খরচ গ্রাহকের কাছ থেকেই তুলবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বিটিআরসির তাৎক্ষণিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ বছর আগের কথা যদি চিন্তা করা যায়, তখন আমেরিকার একটি শহরে ফেসবুক, গুগলের যে পারফরম্যান্স ছিল, তা বাংলাদেশে ছিল না। কারণ, ট্রাফিক সব আসত আমেরিকা থেকে। স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার ছিল না। এরপর এই টেক জায়ান্টগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্যাশ সার্ভার বসায়। পরবর্তী সময়ে তা স্থানীয় আইএসপির কাছে চলে এল। ফলে ব্যান্ডউইডথের খরচও কমে গেল। ক্যাশ সার্ভার গ্রাহকের যত কাছাকাছি থাকবে, ইন্টারনেট ব্যবহারে তার অভিজ্ঞতা তত ভালো হবে। এ জন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চায় ক্যাশ সার্ভার যত স্থানীয় পর্যায়ে রাখা যায়। স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাহক ভুক্তভোগী হবে উল্লেখ করে সুমন আহমেদ বলেন, নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় খুব বেশি কিছু করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড় বড় টেক জায়ান্টের যে পরিমাণ ট্রাফিক ও ব্যবসা, সে হিসেবে আরও আগেই বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব অবকাঠামো নিয়ে অফিস থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা শুধু বাংলাদেশে ভ্যাট নিবন্ধন করেছে। এর বেশি তারা করতে চায় না। কারণ, নীতির ঘন ঘন পরিবর্তন। এই টেক জায়ান্টগুলো বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হবে না। এ দেশে তাদের ব্যবসা করার পরিবেশ নিয়ে জটিলতা বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এই নীতি পরিবর্তন তাদেরও খরচের বিষয়। কারণ, সার্ভারগুলো তারা সরবরাহ করে। | প্রযুক্তি পণ্য,ইন্টারনেট | ইন্টারনেট | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/174011/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF | রাজাকারের তালিকা তৈরির কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি | রাজাকারদের তালিকা তৈরিতে সংসদীয় সাব কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগের কমিটির নিয়মিত কোরাম না হওয়ার কারণে আকার ছোট করতে নতুন এ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।শাজাহান খান বলেন, 'আমাদের আগের কমিটির আকার বড় ছিল যার কারণে বৈঠকে কোরামপূর্ণ হতো না। এ জন্য আমরা ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে তিন সদস্যের সাব কমিটি গঠন করেছি।'আগের সাব কমিটির মত শাজাহান খান নতুন এ সাব কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন। এর অন্য দুই সদস্য হলেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও আওয়ামী লীগের এ বি তাজুল ইসলাম।এর আগে ২০২০ সালের ৯ আগস্ট রাজাকারদের তালিকা তৈরিতে সাব কমিটি গঠন করে সংসদীয় কমিটি। শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন ওই সাব কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, এবি তাজুল ইসলাম ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।কমিটির সভাপতি জানান, সাব কমিটি গঠনের পর রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা থেকে যে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল তার বেশির ভাগই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। অনেক জেলায় রাজাকার নেই এমন তথ্য জানানো হয়। এটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।এদিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও রাজাকারদের তালিকা তৈরিতে গঠিত সাব কমিটির প্রধান শাজাহান খান তাঁর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও তালিকা সংগ্রহ করছেন। এ ক্ষেত্রে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে এই তালিকা সংগ্রহ করছেন।ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডারদের চিঠি দিয়ে তাদের অধিক্ষেত্রের রাজাকারদের তালিকা সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গঠিত সংগঠন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান।ওই সংগঠনের মাধ্যমে ১৩০টি উপজেলা থেকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও বুধবারের বৈঠক শেষে শাজাহান খান জানান। তিনি বলেন, ওই তালিকা আমরা অধিকতর যাচাই করার জন্য আবারও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। ওই তালিকা এলে সেটা যাচাই-বাছাই করে সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে পর্যায়ক্রমে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচারকারী চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে চারটি চিঠি দেওয়া হলেও তাতে সাড়া না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।কমিটি সভাপতি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'তারা কেন চিঠির জবাব দেননি তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।'এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশসমূহের বাস্তবায়ন/অগ্রগতির সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।এতে আরও বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সংবলিত তথ্য লিফলেট আকারে প্রকাশের জন্য একটি খসড়া এবং বিভিন্ন জেলা/উপজেলা ভিত্তিক রাজাকারদের আংশিক তালিকা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। জামুকায় বিদ্যমান শূন্য পদের বিপরীতে আগামী সপ্তাহের মাঝে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুপারিশ করা হয়।শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম, এ বি তাজুল ইসলাম এবং কাজী ফিরোজ রশীদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। | মুক্তিযুদ্ধ,ঢাকা বিভাগ,কমিটি,রাজাকার,ঢাকা | রাজাকারের তালিকা তৈরির কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/06/17/780003 | পাকিস্তানের বর্তমান-সাবেক প্রধানমন্ত্রীর থেকে স্ত্রীদের সম্পদ বেশি! | পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের থেকে তাদের স্ত্রী'রা বেশি সম্পদশালী। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) জমা দেওয়া চলতি অর্থবছরে সম্পদের বিবরণীতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, ইমরান খানের মালিকানায় মোট ছয়টি স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদের বানিগালা আবাসিক এলাকায় ৩৭ একরের একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ইমরানের মালিকানায় আছে লাহোরের জামান পার্কে ৬০০ একর কৃষি ও অকৃষিজমি। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির মোট সম্পদের মূল্য ১৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার রুপি। বানিগালায় একটি বাড়িসহ তার মোট চারটি সম্পত্তি রয়েছে। সব মিলিয়ে স্বামী ইমরান খানের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেশি বলে সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রথম স্ত্রী নুসরাত শাহবাজের ২৩ কোটি ২ লাখ ৯০ হাজার রুপির সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া তার মালিকানায় নয়টি কৃষি সম্পদ, লাহোর ও হাজারা অঞ্চলে একটি করে বাড়ি এবং বিভিন্নখাতে বিনিয়োগ রয়েছে। বুশরা বিবি ও নুসরাত শাহবাজ কারোরই গাড়ির নেই। আর শাহবাজের দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা দুররানি বেশ কয়েক বছর ধরে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার রুপির সম্পদের মালিক। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সম্পদের বিবরণী অনুযায়ী, তার সম্পদের চেয়ে দেনারপরিমাণ বেশি। চলতি অর্থবছরে শাহবাজের মোট সম্পদের মূল্য ১০ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার রুপি। অপরদিকে তার মোট দায়ের পরিমাণ ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার রুপি। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল | পাকিস্তান | পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ও নুসরাত শাহবাজ | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/31/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81/ | রাঙামাটিতে আশ্রিতের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগ | আশ্রিতের বিরুদ্ধেই অবশেষে জমি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। রাঙামাটির চম্পকনগর রাঙ্গাপানি মৌজায় তুষার কান্তি দাসের ২০ শতাংশ জমিতে অসহায় হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হয় রতন বড়ুয়ার পরিবারকে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের যোগসাজসে এখন রতন বড়ুয়ার পরিবার ওই জমি দখলে নিয়ে আত্মসাতের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তুষার কান্তি দাসের পরিবার জমির দখল নিতে গেলে নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু ৪০ বছর পর সেই আশ্রিত রতন বড়ুয়ার পরিবারের স্বজনরা তুষার কান্তি দাসের স্বজনদের নিজেদের জমিতে যেতে দিচ্ছেন না। নানা কৌশলে প্রয়াত তুষার কান্তির পুরো ২০ শতক জমি দখল করে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে রতন বড়ুয়ার পরিবারের স্বজনরা। নিজের জায়গায় প্রবেশ করতে গিয়ে নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন তুষার কান্তির ভাই নীহার কান্তিসহ কয়েকজন। হামলার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন দুর্বৃত্ত গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের যোগসাজসে রতন বড়ুয়ার পরিবার ওই জায়গা দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। হামলায় আহত নীহার কান্তি দাশ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রিত রতন বড়ুয়া বোন সঞ্জু বড়ুয়াসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহল পুরো জায়গাটি দখল করে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। নিজের জায়গাতেই এখন আমরা যেতে পারছি না। গেলেই হামলার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি ওই জায়গায় সরকারি অনুমোদন নিয়ে পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়াসহ কিছু উন্নয়ন কাজ করতে গেলে সঞ্জু বড়ুয়া ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কতিপয় মাস্তান বাহিনীর হামলার শিকার হন তারা। এই ঘটনায় রাঙামাটি কোতোয়ালী থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো- সঞ্জু বড়ুয়া, মানিক বড়ুয়া, সজিব বড়ুয়া, বিথীকা বড়ুয়া, বাবুল দাশ, মিল্টন বড়ুয়া। তাদের মধ্যে মানিক বড়ুয়া এবং বাবুল দাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে তুষার কান্তি এবং নীহার কান্তির পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, আশ্রিত থাকা সঞ্জু বড়ুয়া স্বীকার করেন তারা এই জায়গার মালিক নন। তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় বসবাস করছেন। বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোনো সাড়া পাননি। তুষার কান্তি দাশের ছেলে তুহিন দাশ বলেন, এই জমি ১৯৮১/৮২ সালে আমার বাবার নামে বন্দোবস্ত দিয়েছে সরকার। উত্তরাধিকার সূত্রে আমরাই এখন এই জায়গার মালিক। যা ইতোমধ্যে আদালতের মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জায়গা নতুন করে অন্য কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে ওই জায়গায় আশ্রিতরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের ৪০ বছর আগের মালিকানার জায়গা দখলে নিতে অপচেষ্টা ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন তুহিন দাশ। | চম্পকনগর,জমি দখল,তুষার কান্তি দাস,রাঙামাটি,রাঙ্গাপানি মৌজা | তুষার কান্তি দাসের স্বজনদের এই জমি। কিন্তু এর দখল ছাড়ছে না রতন বড়ুয়ার পরিবারের স্বজনরা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/probash-potro/2021/09/29/696102 | নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীতে 'বাংলা কর্ণার' স্থাপন | নিউইয়র্কস্থ কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীতে 'বাংলা কর্নার' স্থাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন উপলক্ষে বর্তমানে নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এমপি মঙ্গলবার এ কর্নারটির উদ্বোধন করেন। 'মুজিব বর্ষ' ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি'র সহযোগিতায় এটি স্থাপন করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেন, আমরাই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের নিয়ে এই 'বাংলা কর্ণার'-এ আসবেন এবং বই পড়বেন। তিনি এই বিশেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ৩২টি ভাষণের সংকলণ ও বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৭৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখনি সম্বলিত বিশেষ সংকলন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীকে উপহার দেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুজিব বর্ষে স্থাপিত এই 'বাংলা কর্ণার'টি আমাদের বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরী সহ অন্যান্য মূলধারার প্রতিষ্ঠানের সাথে কনস্যুলেটের যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (মনোনিত) সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, এবং কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস। প্রত্যেকেই বাংলা ভাষাকে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী-আমেরিকানদের কাছে তুলে ধরার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষি সকলের বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরী হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর নিজের লেখা বেশ কয়েকটি বই কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ডেনিস ওয়ালকট এর হাতে তুলে দেন। এছাড়াও, 'র :১-৯ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত ' : ' বইসমূহ লাইব্রেরীকে উপহার দেন। কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকটকমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে একটি স্মারক প্রদান করেন। উল্লেখ্য, এই বইসমুহ কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রধান শাখায় ৬ মাস প্রদর্শিত হবে এবং পরবর্তীতে তা লাইব্রেরীর বিভিন্ন শাখায় বইগুলি সংরক্ষিত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল | null | ফিতা কেটে বাংলা কর্ণারের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। - প্রতিনি। | life-health |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/591785/আমি-ইসলাম-গ্রহণ-করেছি-নিজের-ইচ্ছায়-আর-বিয়ে-করেছি-আদালতের-মাধ্যমে-শিখ-নারী | আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি নিজের ইচ্ছায় আর বিয়ে করেছি আদালতের মাধ্যমে : শিখ নারী | আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি নিজের ইচ্ছায় আর বিয়ে করেছি আদালতের মাধ্যমে- জোরালভাবে এমন দাবি করলেন ইসলামে ধর্মান্তরিত এক শিখ নারী।জম্মু ও কাশ্মিরের বিভিন্ন শিখ দল বলছে যে তাদের ধর্মের দু'নারী শ্রীনগরে অপহৃত হয়েছেন, তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করেছে ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিরা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দুই শিখ নারীদের মধ্যে একজন ওই দাবি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে ওই নারী বলেন, আমি স্বেচ্ছায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি। আমি ২৯ বছর বয়সী নারী, আমি শিশু নই। তিনি আরো বলেন, তাকে কেউ জোর করেনি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় অন্য ধর্মের (মুসলিম) ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। ওই নারী ভিডিওতে আরো বলেছেন, 'কোনো ধর্ম বা সংখ্যালঘু সংক্রান্ত বিষয় এর মধ্যে আনবেন না। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আমায় যে সকল অধিকারগুলো দিয়েছে, আমি আমার ওই অধিকারগুলো সম্পর্কে সচেতন।' এ নারী আরো জানিয়েছেন, তিনি ২০১২ সালে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পরে ২০১৪ সালে নিজের ইচ্ছায় তার সহপাঠী মুজাফ্ফরকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এদিকে শিখ সংগঠনগুলো দাবি করেছে, এ মহিলাকে জোর করে বন্দুকের গুলির ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর ও বিয়ে করা হয়েছে। আকালি দলের নেতা মানজিনদার সিং শির্সা রোববার শ্রীনগরে এক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। জোর করে ধর্মান্ত করা হয়েছে এবং অন্য ধর্মের এক পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে শিখ ধর্মের একটি প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মিরের লেফটেনেন্ট গভর্নরের সাথে দেখা করেছে। এনডিটিভিকে মানজিনদার সিং শির্সা বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে কাশ্মির উপত্যকার এ সংখ্যালঘু শিখ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ নারীদের দ্রুতই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীঘ্রই শিখ ধর্মের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করবেন, তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন। জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক টুইটে বলেছেন, 'শিখ ও মুসলিমদের মধ্যে যেকোনা বিভেদ জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এ ঘটনার তদন্ত করবে এবং যদি কেই এ ঘটনায় আইন ভঙ্গের অপরাধে দোষী বলে সাব্যস্ত হন তাদের বিচার হবে এবং সাজা হবে। জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের গ্রান্ড মুফতি নিসার উল ইসলাম বলেন, শিখরা আমাদের কাশ্মিরি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে জোর করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করার কোনো বিষয় নেই। প্রথমত, ইসলামে জোর করে ধর্মান্তকরণ বৈধ নয়। কেউ যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চান, তবে তিনি তা করবেন এ (ইসলাম) ধর্মের প্রতি তার নিজের দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে। কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা বা জোর করা ছাড়াই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন। এছাড়া কাউকেই শিখ ভাইদের বিশ্বাস নিয়ে খেলতে দেয়া যাবে না। যদি কেউ এমন অন্যায় করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : মুসলিম মিরর | null | শিখ নারী | international |
https://www.ajkerpatrika.com/133670/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BF | জায়েদ খানের মামলার হুমকি | বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। কিন্তু চেয়ারে বসা হলো না এই অভিনেতার। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ড। পদ হারিয়েছেন তিনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নিপুণকে।আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের কাছে বোর্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। তবে এ রায় মানছেন না জায়েদ খান। রায় ঘোষণার পর শিল্পী সমিতির দুবারের সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেন, 'এটা (প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা) আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড রায় ঘোষণা করে। আমি আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তাঁরা এটি করেছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।'ঘটনাটিকে 'হাস্যকর' অভিহিত করে জায়েদ খান বলেন, 'তাঁরা ৩০ জানুয়ারি থেকেই ডিজলভ। কারণ, ওই দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে স্বাক্ষর দিয়ে তাঁরা তাঁদের কাজ শেষ করেছেন। সেই ঘটনার পাঁচ দিন পর কেন এই সিদ্ধান্ত? কোন ক্ষমতায় এটি হলো?' তাঁর ভাষায়, 'এখনই সব শেষ নয়।'জানা গেছে, আগামীকাল রোববার বিকেলে এফডিসিতে শপথ নেবে শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি।আরও পড়ুন: কান্নাজড়িত কণ্ঠে যা বললেন বিজয়ী নিপুণআপিল বোর্ডে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নিপুণযেসব অভিযোগে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল | বিনোদন,সিনেমা,মামলা,বাংলা সিনেমা,এফডিসি,শিল্পী সমিতি | জায়েদ খান। ফেসবুক | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/05/19/650670 | কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগামী বাজেটেও : অর্থমন্ত্রী
| কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগামী বাজেটেও থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেবে। কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগটি আমরা কন্টিনিউ (অব্যাহত) রাখব। যতদিন দেশের অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে, ততদিন এ সুযোগ দেওয়া হবে।' পুঁজিবাজার, ব্যাংক আমানতে, নগদ টাকা, ফ্লাট কেনাসহ সব ক্ষেত্রে বিনা প্রশ্নে ১০ শতাংশ কর দিয়ে সর্বশেষ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/11/26/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8/ | পরিবহন শ্রমিকরা পাচ্ছেন নিয়োগপত্র | সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের (ড্রাইভার ও শ্রমিক) নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পরিবহন মালিকরা। বিষয়টি বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের পত্র দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সেই সাথে ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডকে কার্যকর করার সুপারিশ করেছে কমিটি। একাদশ জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, ইসরাফিল আলম এবং শামসুন নাহার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য শাজাহান খান বলেন, আজকের বৈঠকে মূলত ২টি বিষয়নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত আমরা বলেছি, প্রত্যেকটি গাড়ির ড্রাইভার ও অন্য শ্রমিকদের (কনডাকটর ও হেলপার) নিয়োগ পত্র দিতে হবে। সেখানে মালিক পক্ষ বলেছে এখন থেকে তারা নিয়োগ পত্র দেবেন। তিনি বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে সংসদে যে সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল, যাতে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ১ কোটি টাকা দান করেছেন। সে বোর্ডের প্রধান ছিলেন বিআরটিএর (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) চেয়ারম্যান। কিন্তু কোন কার্যক্রম হয়নি। তাই আমরা বলেছি শ্রম মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যানকে এ বোর্ডের প্রধান করে একে কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে। তাছাড়া গাড়ির ড্রাইভারসহ অন্য কর্মীদের নিয়োগ পত্র দেয়া হলে সড়কে গাড়িতে যাত্রী নেবার প্রতিযোগিতা ও ওভার টেকিং কমে গেলে এ দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া বৈঠকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডের নিয়ন্ত্রন, বোর্ডকে আরো যুগোপযুগি ও বাস্তব সম্মত করার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করার কথা বলা হয়েছে। সেই সাথে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ-এর উপযুক্ত প্রতিনিধির সমন্বয় একটি কমিটি গঠন করে সেই কমিটির সুপারিশ পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে জানানো হয় যে, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে নিহত ১৯ জন শ্রমিকের পরিবারকে মালিক পক্ষ থেকে ক্ষতি পূরণ বাবদ ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা । ২০১৮ সালে ১৭ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৫ লক্ষ টাকা এবং ২০১৭ সালে ১৬ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ, সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। | ড্রাইভার ও শ্রমিক,পরিবহন মালিক,পরিবহন শ্রমিক | জাতীয় সংসদ ভবন। | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/02/21/620908 | অচিরেই সব রায় বাংলায়: প্রধান বিচারপতি
| 'অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের সব রায় বাংলায় দেওয়া হবে,' বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'গত ডিসেম্বরে আমরা একটি সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করেছি। যার ফলে সুপ্রিম কোর্টের সকল রায় ইংরেজি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলায় রুপান্তরিত হচ্ছে। রূপান্তর কাজ শেষ হলে আমরা আরও গুছিয়ে নেব।' এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা তার সঙ্গে ছিলেন। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। | national |
https://samakal.com/politics/article/19113594/কুলখানি-রোববার | খোকার কুলখানি রোববার | বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কুলখানি আগামী রোববার। এদিন ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠে বাদ আসর এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজধানীর গোপিবাগে তার বাসভবনেও দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে বলে খোকার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। গত সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তার মরদেহ দেশে আনা হয়। লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত সাদেক হোসেন খোকাকে চার দফা জানাজা শেষে বৃহস্পতিবারই জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে অন্তিম শয্যায় শায়িত করা হয়। | সাদেক হোসেন খোকা | সাদেক হোসেন খোকা | politics |
https://samakal.com/bangladesh/article/1812919/পক্ষে-রাজপথে-তারকারা | নৌকার পক্ষে রাজপথে তারকারা | রাজপথে নেমে এলেন তারকারা। রুপালি পর্দার তারকারা তো বটেই, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চিত্রশিল্পী, কবি, সঙ্গীতশিল্পী, খেলোয়াড়রাও। কোনো দাবি নিয়ে নয়, রাজপথে তাদের উপস্থিতি ছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তারা কাভার্ডভ্যানে রাজধানীর বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া তারকাদের এ প্রচার অভিযানে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন শীল ঘোষাল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, অভিনেতা জাহিদ হাসান, শাকিল খান, অরুণা বিশ্বাস, বাঁধন, নূতন, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি, মাহফুজ, তারিন, শামীমা তুষ্টি, এস ডি রুবেল, সায়মন প্রমুখ। এক সময়ের তারকা ফুটবলার সত্যজিৎ দাস রূপুও ছিলেন এই প্রচার অভিযানে। তারকাসমৃদ্ধ প্রচার অভিযান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সবাই বসে আছেন একটি চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এখন মরাগাঙ নয়। সারাদেশে নৌকার যে গণজোয়ার তা আছড়ে পড়ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। নবমুকুটে তারা আবার পরাজিত করবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে, আমরাই আবার বিজয়ী হবো। তিনি বলেন, একাত্তর সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করেছি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও আমরা এই পরাজিত শক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিয়েই প্রচার শুরু করব- এই হবে আজকে আমাদের শপথ। সাংস্কৃতিক অঙ্গন আজ জেগে উঠেছে নবজোয়ারে। ১৯৭১ সালের মতো সংস্কৃতি অঙ্গন ২০১৮ সালেও জেগে উঠেছে। আসুন, বিজয়ের মাসে আমরা আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনব। বিএনপি শিবিরে 'গণভাটা' পড়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণজোয়ার শুরু হয়েছে, আরেক দিকে বিএনপিতে গণভাটা। নির্বাচনের দিন যতই এগোচ্ছে তারা ততই পরাজয়ের দিকে যাচ্ছে। বক্তব্য শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রচার অভিযান শুরু হয়। এই শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) হয়ে, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, জাতীয় সংসদ ভবন হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর গিয়ে শেষ হয়। আটটি ট্রাকে দেশের তারকাশিল্পীরা প্রচারে অংশ নেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয় এবং বর্তমান সরকারের টানা দশ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জন এবং বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে নানা নাশকতার তথ্য নিয়ে তৈরি লিফলেট বিতরণ করা হয়। তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবং সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। | আওয়ামী লীগ,তারকা | তারকাসমৃদ্ধ এই প্রচার অভিযানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের | national |
https://www.ajkerpatrika.com/40078/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2 | ডিসি সুলতানা পারভীনসহ ৪ জনের পোস্টিং নিয়ে রুল | সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পোস্টিং দেওয়া থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।একই সঙ্গে এনডিসি এসএম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পোস্টিং দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে।আজ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান।এর আগে গত ২৩ আগস্ট সুলতানা পারভীনসহ চারজনের পোস্টিং নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক মো. আরিফুল ইসলাম রিগান। রিটকারীর আইনজীবীরা বলেন, ওই চারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান। সে মামলায় তাঁরা এখনো জামিন নেননি। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তাঁরা এখনো পলাতক। তাঁরা ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে এবং অন্য তিনজনকে পোস্টিংয়ের চেষ্টা চলছে। যা আইনবহির্ভূত। | কুড়িগ্রাম,ঢাকা বিভাগ,সাংবাদিক,ঢাকা,হাইকোর্ট | সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগে ডিসি সুলতানার পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/200212363/১৭-চীনা-নাবিককে-ফেরত-পাঠানো-হলো | সেই ১৭ চীনা নাবিককে ফেরত পাঠানো হলো | স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়েচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে আসা ১৭ চীনা নাবিককে পাঁচদিন পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ফ্লাইট জটিলতার কারণে পাঁচদিন জাহাজেই অবস্থান করেন এই নাবিকরা। বুধবার সকালে তাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে তিনটি মাইক্রোবাসে করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে উড়োজাহাজে তুলে দেওয়া হয়। লালবাগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম আবদুল্লাহ বলেন, '১৭ চীনা নাবিক পাঁচদিন ধরে আমাদের জাহাজে ছিলেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে তাদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি। ডাক্তারি পরীক্ষায় তাদের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এজেন্সির মালিক। আমদানিকারণ এজেন্সি বিমানের টিকিট নিশ্চিত করার পর বুধবার সকালে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।' চীনের ইং ওং ফং বন্দর থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজটিকাটার জন্যগত শনিবারচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির লালবাগ শিপইয়ার্ডে আনা হয়। যথা নিয়মে জাহাজটি ইয়ার্ডে সৈকতায়নও করা হয়। সৈকতায়নের পর জাহাজ থেকে নাবিকদের নেমে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ফ্লাইট জটিলতার কারণে তাদের জাহাজেই থাকতে বলা হয়। এরই মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় এই নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করেন। জাহাজ আমদানিকারক আর এ শিপিং এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ সৈকতায়ন করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে ১৭ চীনা নাবিককে বুধবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। | চীনা,১৭ চীনা নাবিক,করোনাভাইরাস,স্ক্র্যাপ জাহাজ | স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়ে সীতাকুণ্ডে আসা সেই ১৭ চীনা নাবিককে বুধবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় | national |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/599039/ইরানের-প্রেসিডেন্ট-হিসেবে-আনুষ্ঠানিক-দায়িত্ব-পেলেন-রায়িসি | ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেলেন রায়িসি | সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসিকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। আজ মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইবরাহিম রায়িসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সত্যয়ন করেন তিনি। এর মাধ্যমে রায়িসি আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেলেন। গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান ইবরাহিম রায়িসি ভূমিধস বিজয় লাভ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতা ইবরাহিম রায়িসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাসান রুহানি গত দুই মেয়াদে আট বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই করোনা ভাইরাসের কারণে পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যোগ দেন। এতে উপস্থিত আছেন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রেজা রাহমানি ফাজলি ১৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন যাতে ইবরাহিম রায়িসির বিজয় নিশ্চিত করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্ট রায়িসি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৭৩টি দেশ থেকে অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সূত্র : পার্সটুডে | null | সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি | international |
https://www.ajkerpatrika.com/6986/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF | ফাইনালে আবারও ব্যর্থ কোহলি | ঢাকা: আইসিসির আরও একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্যর্থ বিরাট কোহলি! সাউদাম্পটনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে কাইল জেমিসনের বলে ফিরেছেন ৪৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও আত্মাহুতি দিয়েছেন সেই জেমিসনের বলে। এবার করেছেন ১৩ রান। শুধু এ ফাইনালই নয়, আইসিসি টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ নকআউট পর্বের ম্যাচেই নিজেকে খুঁজে ফেরেন কোহলি!২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই ফিরে যান কোহলি। ভারত ম্যাচটা হারে ১৪ রানে।২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও একই ছবি। পাকিস্তানের দেওয়া ৩৩৪ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বলে পয়েন্টে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে কোহলি করেছিলেন ৯ বলে ৫ রান। ভারত ম্যাচটা হেরেছিল ১৮০ রানে। অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির এই তিনটি নকআউট ম্যাচেই ব্যর্থ কোহলি।অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগেও আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে করেছিলেন ১৩ বলে ১ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের হার ৯৫ রানে। ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও বড় ইনিংস খেলতে পারেনি কোহলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ বলে করেছিলেন ৪৩ রান করলেও ভারত অবশ্য ম্যাচ জিতেছিল ৫ রানে। ২০১১ বিশ্বকাপ ভারত জিতেছিল। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ফাইনালে তরুণ কোহলির ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৯ বলে ৩৫ রান।গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন কোহলি। তিন সংস্করণেই একমাত্র ব্যাটসম্যান, যাঁর পঞ্চাশোর্ধ্ব গড়। এই কোহলি আইসিসির নকআউট পর্ব এলেই কেন যেন বোতলবন্দী হয়ে যান! আইসিসির সর্বশেষ ছয়টি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে একটিতেও ফিফটিও পাননি ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন। কোহলির ব্যর্থতার খেরোখাতায় এবার যোগ হলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটাও! | ক্রিকেট,কোহলি | আইসিসির টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে এবারও ব্যর্থ বিরাট কোহলি। ইনফোগ্রাফিক্স | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/21/%e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a6%ab%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2/ | সোমবার পঞ্চম ধাপের তফসিল দেবে ইসি | আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের ৯০ তম সভা বসছে। আর এ সভা শেষে চলমান ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চম তথা শেষ দফা নির্বাচনের তফসিল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি জানান, শেষ ধাপে কোন কোন ইউপির তফসিল দেয়া হবে তা চূড়ান্ত করা বেশ কঠিন, তাই দু এক দিন পরে তফসিল দেবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে রবিবার সিইসি জানিয়েছেন ৯০ তম বৈঠক পিছানোর কোন উপায় নেই, তাই আগামীকাল কমিশন বৈঠক শেষে পঞ্চম ধাপের তফসিল দেয়া হবে। তবে ইউপির তালিকা করতে রাত দিন কাজ করছে কর্মীরা। কাল বৈঠক শেষ তফসিল দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে চার ধাপে ৩ হাজার ৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল দেয়া হযেছে এবং ২ দফায় ১ হাজার ৭টি ইউপির ভোট শেষ হয়েছে, বাকি হাজার খানেক ইউপির তফসিল কাল দেয়া হবে বলে জানান তিনি। | ইসি,তফসিল ঘোষণা | নির্বাচন কমিশন | national |
https://www.ajkerpatrika.com/80815/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE | বিসিএস উত্তীর্ণ তাঁরা | মুরাদনগর উপজেলার ২১ জন ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে মুরাদনগর থানার বাসিন্দা ১২ জনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান। গত রোববার থানা প্রাঙ্গণে তাঁদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।মুরাদনগর থানার বাসিন্দা ১২ জন চিকিৎসক হলেন সদর ইউনিয়নের আলীরচর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, ছালিয়াকান্দি ইউপির আমপাল গ্রামের তানজিম হোসেন, জাহাপুর ইউপির শুশুন্ডা গ্রামের শাহিনুর ইসলাম, বল্লভদি গ্রামের হাসিব চৌধুরী, সাতমোড়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন, পায়ব গ্রামের শারমিন আক্তার, পাহাড়পুর ইউপির উতরাইন গ্রামের মো. শাহরিয়ার ইনাম খান পাপ্পু, পাহাড়পুর গ্রামের ইসতিয়াক আহমেদ সিকদার সাগর, ধামঘর ইউপির খুরুইল গ্রামের মো. সাজ্জাদ হোসেন, যাত্রাপুর গ্রামের হরি নারায়ন দেবনাথ, ছালিয়াকান্দি ইউপির নেয়ামত কান্দি গ্রামের মারুফা তাসকিন, কাজিয়াতল ইউপির পালাসুতা গ্রামের ফারজানা ইসলাম।আর বাঙ্গরা বাজার থানার ৯ জন হলেন হায়দরাবাদের জওহার অনন্যা, দিঘির পাড়ের জান্নাতুল ফেরদৌস, শ্রীকাইলের নাজমা আক্তার, রোয়াচালার ফারজানা জান্নাত জেরিন, বলীঘরের মো. গিয়াস উদ্দিন, বাইড়ার মেহেদী হাসান ইয়াহিয়া, কোরবানপুরের আবু বকর ছিদ্দিক, টনকীর মো. শরীফুল ইসলাম ও ভাঙ্গানগর গ্রামের এস এম সামিউল নাফিস।মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, 'মুরাদনগরবাসীর গৌরব এই চিকিৎসকেরা। শুভেচ্ছা নিতে এসে নিজেদের মধ্যে পরিচিত হয়েছেন তাঁরা।' | কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,মুরাদনগর,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,আজকের কুমিল্লা | মুরাদনগরে ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গত রোববার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় থানা-পুলিশ। | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/04/30/765236 | ঈদে চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি!
| রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রাজধানীর সবুজবাগ, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, মুগদা, শাহবাগ, মতিঝিল, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর ও পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে ৩৩ জন চাঁদাবাজ ও আটজন ছিনতাকারী। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা নগদ ১ লাখ দুই হাজার ৫৩৩ টাকা, মোবাইল ৫৩টি, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৯টি সুইচ গিয়ার, ১০টি এন্টিকাটার, ১০টি ক্ষুর, ৭টি চাকু, ২টি চাইনিজ কুড়াল ও ৪টি রামদা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খিলগাঁও মালিবাগ রেইল গেইট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালবার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, লেবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা হতে তোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঈদ উপলক্ষে চাঁদাবাজ চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড ও মালবাহী গাড়ি থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিত। এ ছাড়া ঈদের কেনাকাটার জন্য বের হওয়া সাধারণ মানুষের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিত চক্রের সদস্যরা। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | ঈদ, চাঁদা, প্রাণনাশ, হুমকি | গ্রেফতাররা | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/11/29/716369 | শাকিব খানের ব্যাংক হিসাব তলব
| ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এনবিআরের এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শাকিব খান রানার নামে বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যদের একক বা যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা তাদের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে তার তথ্য জমা দিতে হবে। চিঠিতে শাকিব খান রানার পরিচয় দেওয়া হয়েছে অভিনেতা হিসেবে। পিতার নাম আবদুর রব, মাতা রোজিয়া বেগম, স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর। বর্তমান ঠিকানা গুলশান ২। আয়কর অধ্যাদেশের ১৯৮৪-এর ১১৩ (এফ) ধারার ক্ষমতাবলে এই হিসাব তলব করেছে এনবিআর। আয়কর ফাঁকির অনুসন্ধানের জন্য এই ধারা ব্যবহার করে থাকে এনবিআর। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অভিনয়শিল্পী ক্যাটাগরি থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ করদাতা হন শাকিব খান। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | শাকিব খান, ঢালিউড, সুপারস্টার, ব্যাংক, হিসাব, তলব | শাকিব খান | entertainment |
https://www.prothomalo.com/politics/বিএনপির-ভাঙন-সময়ের-ব্যাপার-মাত্র-হানিফ | বিএনপির ভাঙন সময়ের ব্যাপার মাত্র: হানিফ | আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে বিএনপির ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করছে যে তাঁদের মধ্যে বিভক্তি স্পষ্ট। দলটির ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।' আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব উল আলম হানিফ আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির নির্বাচিত চার সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে যোগদান করেছেন। কিন্তু দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যোগদান করেননি। এটাই প্রমাণ করে বিএনপির ভাঙন অনেকটাই নিশ্চিত। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল তাঁর শপথ না নেওয়াকে রাজনৈতিক কৌশল বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আমি বলব, এটা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল নয়, এটা তাঁদের অপকৌশল। হানিফ আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব এ ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করে দলটির ভাঙন ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। | বিএনপি,রাজনীতি,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,রাজধানী,আওয়ামী লীগ | মাহবুব উল আলম হানিফ | politics |
https://samakal.com/capital/article/210253840/হাঁটতে-হাঁটতে-ব্যাগের-চেইন-খুলে-টাকা-হাতানো-ওদের-পেশা | হাঁটতে হাঁটতে ব্যাগের চেইন খুলে টাকা হাতানো ওদের পেশা | হাতে বা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ভিড়ের মধ্যে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছেন আপনি। গন্তব্যে ফেরার পর দেখলেন ব্যাগের চেইন খোলা। আর ব্যাগের ভেতরেও থাকা টাকা-পয়সা বা জিনিসপত্র নেই। কিছু সময় এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারবেন- পথে কেউ চেইন খুলে ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে গেছে। পুরান ঢাকায় এমনই একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ- যারা হাঁটতে হাঁটতে অন্যের ব্যাগের চেইন খুলতে পারদর্শী। আর এটাই ওদের পেশা। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই চক্রের সদস্যরা তানভীর হাসান রনি নামের এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় তানভীর কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইসলামপুরের যমুনা ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ১০ লাখ তোলেন রনি। টাকা দুই ভাগ করেন। একটা সাইড ব্যাগে রাখেন ৫ লাখ টাকা। বাকি ৫ লাখ টাকা খামের ভেতরে ভরে হাতে রাখেন। এরপর পাঁয়ে হেঁটে লায়ন টাওয়ার থেকে ইসলামপুরের শাড়ি পট্টির জনতা ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর দেখেন, ব্যাগের চেইন খোলা; টাকাও নেই। বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাজীব মিয়া জানান, তানভীর অভিযোগ পাওয়ার পর ওই এলাকার সব সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করে কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগ থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- দ্বীন ইসলাম বাবু, মো. শাওন ও বিপ্লব সরকার। তাদের মধ্যে বাবু ও বিপ্লব আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। শাওন তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছে। এই চক্রের আরও দু'জনকে খোঁজা হচ্ছে। রাজীব মিয়া আরও বলেন, হাতিয়ে নেওয়া ৫ লাখ টাকার মধ্যে শাওন ভাগে পান ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, বাবু ২ লাখ ৩০ হাজার ও বিপ্লব পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা। | ছিনতাইকারী চক্র,রাজধানী | দ্বীন ইসলাম বাবু, বিপ্লব সরকার ও মো. শাওন। : | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/20/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8b/ | ভারত থেকে টিকা আসবে অক্টোবরে | ছয় মাস পর ভারত আবারও করোনার টিকা রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী মাসে, অর্থাৎ অক্টোবরের শুরু থেকেই বাংলাদেশসহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো আবার টিকা পেতে শুরু করবে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা ঘোষণা দেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখভাই মান্ডভিয়া। তিনি বলেন, উদ্বৃত্ত টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিবেশীরাই গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ যেসব দেশে আবার টিকা পাঠানো হবে, তার পুরোটাই হবে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড। বাংলাদেশ প্রতিবেশী থেকে যে কোভিশিল্ড কেনার চুক্তি করেছিল, সেই অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারিতে টিকার চালান পাঠানো শুরু হলেও এপ্রিল মাসে হঠাৎই টিকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় ভারত। ভারতে তখন মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ এত বিধ্বংসী আঘাত হেনেছিল। বাধ্য হয়ে দিল্লি সিদ্ধান্ত নেয় টিকা রফতানি বন্ধ করে দেশের নাগরিকদের টিকাকরণেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। | অ্যাস্ট্রাজেনেকা,করোনা,কোভিশিল্ড,টিকা,ভারত | অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2019/11/28/478965 | মান্না দে'র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আইজিসিসির বিশেষ আয়োজন | ইন্দিরা গান্ধী কালাচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) ভারতীয় উপমহাদেশের কালজয়ী সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে'র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। শুক্রবার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ইন্দিরা গান্ধী কালচালারাল সেন্টারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হবে এ অনুষ্ঠান। উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। মান্না দে স্মরণে মিউজিক্যাল ট্রিবিউট অনুষ্ঠানে থাকবে ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী ডা. অমিতাভ চন্দ, বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার এবং আবৃত্তিশিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাকের পরিবেশনা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ | null | বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে | entertainment |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/560138/রাশিয়ার-করোনা-ভ্যাকসিন-৯১.৬-শতাংশ-কার্যকর | রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর | রাশিয়ায় তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ সর্বশেষ ট্রায়ালে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯১.৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। পিয়ার-রিভিউ জার্নাল দ্য ল্যানসেটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এটিকে নিরাপদ হিসেবেও গণ্য করা হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি ও করোনায় মৃত্যুর বিরুদ্ধে পূর্ণ প্রতিরোধ প্রদান করবে বলে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ায় এটি বেশ বিতর্ক তৈরি করেছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটির উপকারিতা এখন প্রমাণিত। এর ফলে প্রমাণিত ভ্যাকসিনের তালিকায় ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও জ্যানসেনের সাথে স্পুটনিক-৫ও যুক্ত হল। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও বেলজিয়ামে তৈরি জ্যানসেন ভ্যাকসিন যেভাবে কাজ করে, স্পুটনিক-৫ সেভাবেই কাজ করে। শরীরে কিঞ্চিৎ মাত্রায় করোনাভাইরাস প্রবেশ করাতে এই ভ্যাকসিনটি প্রকৌশলের মাধ্যমে একটি অক্ষতিকর ও ঠাণ্ডা ধরনের ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে। ভ্যাকসিনটি দেয়ার পর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকে। এর মানে হল, সত্যিকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা লড়াই করার মতো যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীর অর্জন করবে। তবে স্পুটনিক-৫ এর দ্বিতীয় ডোজটি অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতো একই ডোজের পুনরাবৃত্তি করার বদলে কিছুটা আলাদা একটি ধরন ব্যবহার করবে। প্রথম ডোজের ২১ দিন পরে তা প্রয়োগ করা হবে। দুটি ধরনই ভাইরাসের 'স্পাইক'কে লক্ষ্য করে কাজ করবে। তবে প্রথম ডোজের পুনরাবৃত্তির ফলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে তার চেয়েও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে দ্বিতীয় ডোজে আলাদা ধরন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তাও দেবে ভ্যাকসিনটি। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তবে তা মৃদু মাত্রায়। এর মধ্যে রয়েছে বাহু ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ও শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়া। সূত্র : সিএনএন | null | রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/112833/%E0%A6%9F%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%80 | সংস্কারের অভাবে বেহাল পাঁচগাঁও সড়ক | মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পাঁচগাঁও যাওয়ার প্রধান সড়কটি দিন দিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার পরও দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার সংস্কার হচ্ছে না। এতে এ পথে চলাচলকারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।সড়কটির পিচের ঢালাই উঠে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে অতি বৃষ্টির কারণে রাস্তার দুপাশের অনেক অংশ দেবে গেছে। উপজেলার হাসাইল, পাঁচগাঁও ও কলমার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি।গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ব্রিজের ঢালের অনেক অংশ ভেঙে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে এই পথ ধরে চলাচল করতে হচ্ছে। দিনের সময় কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও রাতের সময় রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়। এ সড়কে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।স্থানীয় বাসিন্দা জসিম বলেন, 'রাস্তাটি আমাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাটি ঠিক করা দরকার। তা না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।'পাঁচগাঁও ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দুলাল রাঢ়ী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি মেরামত না হওয়ার কারণেই এই অবস্থা। রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।' | মুন্সিগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,টঙ্গিবাড়ী,ছাপা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ | টঙ্গিবাড়ীর পাঁচগাঁও ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/102406/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87 | সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে | সরিষা চাষে ঝুঁকছেন সাতক্ষীরা তালা উপজেলার কৃষকেরা। বাজারদর ভালো হওয়ায় সরিষা চাষে দিন দিন এ অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।স্থানীয় কৃষকেরা আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।তালা উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, উপজেলায় গত বছর ৪৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ৫৬০ হেক্টর জমিতে।জালালপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ জানান, বীজ বপনের মাত্র দুই মাসের মধ্যে সরিষা ঘরে ওঠে। এ ছাড়া চলতি মৌসুমটা সরিষার জন্য বেশ অনুকূল আছে। ফলে এবার সরিষা থেকে ভালো লাভের আশা আছে।উপজেলার জাতপুর গ্রামের মোজাম মোড়ল চাষিরা জানান, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। প্রথমে হালকাভাবে জমি চাষ দিয়ে সরিষার বীজ বপন করতে হয়। পরে কিছু ওষুধ ও কীটনাশক দিলেই সহজে ফলন পাওয়া যায়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজিরা খাতুন জানান, এ বছর ভালো ফলনের জন্য টরি-৭, বারি-১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা চাষ করেছেন শতকরা ৯৯ ভাগ কৃষক। বাকি একভাগ চাষ হয়েছে দেশিসহ অন্যান্য জাতের সরিষা। | খুলনা জেলা,সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,তালা,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,খুলনা সাতক্ষীরা | তালার মহান্দী গ্রামের একটি সরিষাখেত। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/04/23/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%90%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9f-%e0%a6%ac/ | সাকিবের ঐতিহাসিক ব্যাট বিক্রি ২০ লাখ টাকায় | ২০ লাখ টাকায় সাকিবের সেই ঐতিহাসিক ব্যাট জিতে নিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসি রাজ। বুধবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০ টা থেকে শুরু হওয়া 'অকশন ফর একশন' ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এই লাইভ নিলাম অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত ১১:১৫ মিনিটে। ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু হওয়া সাকিবের এই ব্যাটের দাম বিড হতে হতে সর্বশেষ ২০ লাখে গিয়ে শেষ হয়। নিলাম থেকে পাওয়া এই অর্থ 'দি সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন' এর মাধ্যমে দুস্থ মানুষের সহযোগিতায় কাজে লাগানো হবে। নিলামের সময় উপস্থিত ছিলেন- সাকিব নিজে এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজক চিত্র নির্মাতা প্রীত রেজা, ফেসবুক সেলিব্রেটি আরিফ আর হোসেন ও চিশতী ইকবাল। সাকিব আল হাসান বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া আসার মধ্যেই থাকা হয়, সেহেতু আমি নিজেই পরের বার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজকে ব্যাট হাতে তুলে দিব। সাকিবের ব্যাট ক্রয় করে রাজ বলেন, যেহেতু দূরে থাকি সেজন্য বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারি না। তাই এই নিলামের মতো মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা আমার। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই উদ্যোগের বাংলাদেশের অনেক তারকাই সংযুক্ত আছেন। এর মধ্যে অনন্ত জলিল, তাহসান, জেমস, জয়া হাসান, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, আসাদুজ্জামান নূর (বাকের ভাই), মাইলসের শাফিন আহমেদ, মোশাররফ করিম, টিপু (ওয়ারফেজ) থেকে শুরু করে ব্ল্যাক ব্যান্ডের জন বা আর্টসেলের লিঙ্কন, পুরো চিরকুঠ ব্যান্ড তাদের সাথে আছেন। এছাড়াও সুবর্ণা মোস্তফা থেকে শুরু করে এ যুগের শবনম ফারিয়াও নিজের পছন্দের কিছু না কিছু নিলামে তুলবেন এই করোনা মহামারীতে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আয়োজকদের সঙ্গে এই উদ্যোগে টিম মেম্বার হিসেবে আছে বিদ্যানন্দ, মজার স্কুল, এক টাকায় আহার, আমাল ফাউন্ডেশন, সাজেদা ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, বন্ধু ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশন, গিভ বাংলাদেশ, প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন, প্রোজেক্ট কন্যা, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, আমরাই বাংলাদেশসহ এরকম আরো ১৫ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতি পর্বের টাকা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক একবার একেকটা ফাউন্ডেশনকে দেয়া হবে। | ঐতিহাসিক ব্যাট,নিলামে ব্যাট,বিক্রি ১৮ লাক্ষ,সাকিব | নিলামে বিক্রি সাকিবের ব্যাট। | sports |
https://bangla.dhakatribune.com/sports/2021/10/26/16352616164261212 | 'বহিরাগত' মাশরাফিকে নিয়ে ভাবছেন না গিবসন | বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফদের বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মন্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তিনি এটিকে "বাইরের লোকের কথা" বলে মন্তব্য করেছেন। মাশরাফির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার গিবসন মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এ কথা বলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের পরাজয়ের জন্য কোচিং স্টাফরাও দায়ী বলে সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন সাবেক ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার আগের দিন দুবাইয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের এই বোলিং কোচ বলেন, "বাইরে থেকে কে-কী বলছে, তাতে আমার আগ্রহ নেই। আমরা জানি, বাংলাদেশ দলের কোচিং গ্রুপ হিসেবে আমরা কী করছি। বাইরের লোকের কথায় কিছু যায় আসে না।" মাশরাফি তার ফেসবুক পোস্টে শ্রীলংকার কাছে হারের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ মিসের প্রসঙ্গ এনে এর জন্য কোচিং স্টাফদেরও দায়ী করে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন। মাশরাফি লিখেছেন, "লিটনের ক্যাচ মিসের কোন এক্সকিউজ দিবো না, এমনকি লিটন নিজেও দেবে না। তবে ক্যাচ মিস খেলার একটা অংশই। কিন্তু ফিল্ডিং কোচের কাছে কি এ বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়? ক্যাচ মিস কি এই প্রথম হলো? ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ম্যানেজমেন্ট এর প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছে, স্রেফ বর্তমান ফিল্ডিং কোচ ছাড়া।" ওয়ানডে দলের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক লেখেন "তাহলে আমরা বিশ্বকাপে বা তারপর কি সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে গিয়েছি? এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার, যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসঙ্গে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে। এদের বাদ দেওয়া আরও বিপদ। কারণ চুক্তির পুরো টাকাটা নিয়ে চলে যাবে। তাহলে দাঁড়ালো কী? তারা যতদিন থাকবে আর মন যা চাইবে তাই করবে।" দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার নিজের দেশ থেকে লোক আনছে, এরপর যারা অস্থায়ী ভাবে আছে তাদেরও সরাবে আর নিজের মতো করে ম্যানেজমেন্ট সাজাবে বলেও মন্তব্য করেন মাশরাফি। মাশরাফি লেখেন, "হেড কোচ এক এক করে নিজ দেশের সবাইকে আনছে, এরপর যারা অস্থায়ী ভাবে আছে তাদেরও সরাবে আর নিজের মতো করে ম্যানেজমেন্ট সাজাবে। তাও মেনে নিলাম কিন্তু রাসেল (হেড কোচ) ম্যানেজমেন্ট এর জন্য যেভাবে স্টেপআপ করে মূল দলের জন্য তাহলে লুকিয়ে কেন? কেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদ ভালো থাকে না। এটা ঠিক করা তার কাজ না?" | null | ওটিস গিবসন | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/27/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a7%87/ | কাতার বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবেন রোনালদো | বিশ্ব ফুটবল ভক্তদের মাথায় যেন হঠাৎ করেই বাজ ভেঙে পড়েছে। আর পড়বে না বা কেন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগেই যে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত খারাপ একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। পর্তুগাল এবং ইতালির মধ্যে যে কোনও একটি দল কাতার বিশ্বকাপেই অংশ নিতে পারেব না। তার কারণ বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য ইউরোপিয়ান প্লে অফের যে সূচি হয়েছে, ইতালি এবং পর্তুগাল পড়েছে একই গ্রুপে। একটি দল বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতেই পারবে না। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউরোপিয়ান প্লে অফের ড্র। এই ড্রয়ের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে ফুটবল বিশ্ব? ইতালি এবং পর্তুগাল পড়েছে একই গ্রুপে। অর্থাৎ মূল পর্বে ওঠার আগেই বাদ পড়বে যে কোনও একটি দল। যে কারণে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপে অংশ নেওয়াটা নির্ভর করছে এখন ইতালি বাধা পার হওয়ার উপরেই। | null | ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো | sports |
https://www.prothomalo.com/business/economics/রপ্তানি-পণ্য-পরিবহনে-ভয়াবহ-জট | রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জট | চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের ১৩ হাজার ৫৬০ কনটেইনারের স্তূপ। স্বাভাবিক সময়ে থাকে গড়ে ২ হাজার। স্মরণকালের জট ডিপোতে। পোশাক কারখানায় রপ্তানি পণ্য তৈরির পর কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপোগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। ডিপোতেই এখন গড়াগড়ি খাচ্ছে কোটি কোটি ডলারের রপ্তানি পণ্য। কোনো কারখানার পণ্য হয়তো ডিপোর শেডে, কোনোটির কনটেইনারে, কোনোটির পণ্য ডিপোর সামনে গাড়িতেই পড়ে আছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কনটেইনারে পণ্য রপ্তানি হলেও সংকট কাটছে না। কারণ, যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে। রপ্তানি বাড়তে থাকায় সংকটও বাড়ছে। এর প্রধান কারণ, রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট ও জাহাজে চাহিদা অনুযায়ী কনটেইনার পরিবহনের বুকিং না মেলা। তাতে চট্টগ্রামের ডিপোতে আটকে থাকা রপ্তানি পণ্য কবে বিদেশি ক্রেতার হাতে পৌঁছাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না রপ্তানিকারকদের। এমনই একজন রপ্তানিকারক নারায়ণগঞ্জের এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম। তিনি নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, কনটেইনার সংকট ও জাহাজে বুকিং না পেয়ে কয়েকটি চালানে ১২ লাখ ডলারের রপ্তানি পণ্য এখন তাঁর কারখানা ও চট্টগ্রামের একটি ডিপোতে পড়ে আছে। এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত আটকে থাকা এসব পণ্য জাহাজীকরণ না হওয়ায় রপ্তানি আয়ও হাতে পাইনি।' একই কথা জানালেন বড় রপ্তানিকারক চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্যাসিফিক জিনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিদেশি ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছাতে এখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০-২৫ দিন বেশি সময় লাগছে। তিনি বলেন, তিন-চার দিন আগে কারখানা থেকে ২৭টি কাভার্ড ভ্যানে রপ্তানি পণ্য কয়েকটি ডিপোতে পাঠিয়েছি। কিন্তু ডিপোর শেডে জায়গা না থাকায় গাড়ি থেকেই পণ্য নামানো যায়নি। পণ্য রপ্তানির মোটামুটি সরবরাহ চক্রটি হলো, রপ্তানি পণ্য প্রস্তুত হলে কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে প্রথমে কনটেইনার ডিপোগুলোতে নিতে হয়। ডিপোতে আনার পর কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য নামিয়ে শেডে রাখা হয়। সেখানে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা কনটেইনার ভাড়া নিয়ে শেডে থাকা রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম হয়। এরপর ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনার। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেন, 'রপ্তানিকারকেরা আমাদের পণ্য বুঝিয়ে দিলেও কনটেইনার সংকটের কারণে পণ্য বোঝাই করা যাচ্ছে না। আবার কনটেইনারে পণ্য বোঝাই হলেও ইউরোপ-আমেরিকাগামী বড় জাহাজের বুকিং পাওয়া যাচ্ছে কম। তাতে পণ্য রপ্তানিতে অনেক বেশি সময় লাগছে।' পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের এই সংকট ভাবিয়ে তুলছে। প্রতিদিন বিজিএমইএ নেতাদের কাছে সদস্যরা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন যে সংকট চলছে, তাতে বিদ্যমান রপ্তানি চালান ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে দুই থেকে চার সপ্তাহ বাড়তি সময় লাগছে। এতে পাইপলাইনে থাকা রপ্তানি চালান পাঠাতে আরও দেরি হলে বিশেষ ছাড় দিতে হতে পারে। চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে বিভিন্ন কারখানা থেকে আনা রপ্তানি পণ্য রাখার শেড প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। কনটেইনার সংকটে শেডে থাকা পণ্য কনটেইনারে তোলা যাচ্ছে না। তাতে কারখানা থেকে নতুন করে আসা রপ্তানি পণ্যের গাড়ি খালাস করতে দেরি হচ্ছে। গতকাল শনিবার এই ডিপোর সামনে ৩৩৯টি কাভার্ড ভ্যান পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। আবার পণ্য বোঝাই করে রাখা কনটেইনারের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০টিতে উন্নীত হয়েছে এই ডিপোতে। একই চিত্র দেখা গেছে বন্দরে এক কিলোমিটার দূরে থাকা বেসরকারি ডিপো এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজে। কনটেইনার ডিপো মালিক সমিতির হিসাবে, ১৯টি ডিপোতে গতকাল পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ১৩ হাজার ৫৬০টি। কনটেইনারে বোঝাইয়ের অপেক্ষায় শেডে ও গাড়িতে ছিল আরও বিপুল পণ্য। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গেল বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গতি আসে। তাতে চীন থেকে রপ্তানি বাড়তে থাকে। আমদানি বাড়তে থাকে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। তাতে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে জাহাজ ও কনটেইনার সংকট তৈরি হয়। এরপর কখনো কলম্বো, কখনো সিঙ্গাপুর বন্দর কিংবা এপ্রিলে সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে অচলাবস্থা তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায়। সম্প্রতি ইউরোপ-আমেরিকার অনেক বন্দরে জট তৈরি হয়েছে। তাতে সেসব দেশের বন্দরে রপ্তানি পণ্য নামিয়ে কনটেইনার খালি হয়ে আসতে সময় লাগছে। চীনেও আমদানি কমে রপ্তানি অস্বাভাবিক বাড়ায় খালি কনটেইনারের সংকট তৈরি হয়েছে। মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিক আজমীর হোসাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চীন কিংবা বাংলাদেশের মতো উৎপাদক দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার বন্দরে জটের কারণে কনটেইনার খালি বা পণ্যভর্তি হয়ে ফেরত আসতে দেরি হচ্ছে। তাতে কনটেইনার সংকট তীব্র হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক নৌপথে অনেক শিপিং কোম্পানি কনটেইনার পরিবহন ক্ষমতা কমিয়েছে জাহাজ ভাড়া অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায়। | করোনা অর্থনীতি,রপ্তানি,চট্টগ্রাম বিভাগ | ডিপোতে জমেছে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ। জায়গার অভাবে ডিপোর বাইরেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে পণ্যবোঝাই কার্ভাড ভ্যান। কনটেইনার সংকটে রপ্তানি পণ্যের এ জট তৈরি হয়েছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকাসংলগ্ন একটি ডিপোতে। | economy |
https://www.prothomalo.com/politics/খালেদার-মুক্তি-নিয়ে-পর্দার-আড়ালে-কিছু-হচ্ছে-না | খালেদার মুক্তি নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না: কাদের | বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সব 'ওপেন সিক্রেট'। আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে পর্দার অন্তরালে কিছু হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পর্দার অন্তরালে কিছুই নেই। সবকিছুই ওপেন সিক্রেট। কোনোটাই সিক্রেসির মধ্যে নেই।' সম্প্রতি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির মহসচিব ফোন দিতে পারেন। আর সেটা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। এটাই স্বাভাবিক। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। প্যারোল নিয়ে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদার পরিবার আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর করতে হবে। এখনো কোনো লিখিত আবেদন করেনি। তিনি বলেন, প্যারোলেও নিয়ম আছে। যুক্তিযুক্ত কারণ তো দিতে হয়। প্যারোল চাইলে সেই কারণ মন্ত্রণালয় দেখবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি আপোস না সংগ্রামে রয়েছে এমন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এটা বিএনপিই বলতে পারবে। আন্দোলনের কথা তারা বারবার বলে আসছেন। তাদের মধ্যে একটা দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের কেউ বলে মানবিক, কেউ বলে আন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নেই। আন্দোলন করে যদি মুক্ত করার অঙ্গীকার থাকে এবং সেই সক্ষমতা থাকে, তাহলে আন্দোলন তারা করতে পারে।' তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে আগে ঠিক করতে হবে তারা কোন পথে মুক্তি চায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালেদা জিয়ার বিষয়টি হচ্ছে আদালতের এখতিয়ার। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। তাঁকে তো বিনা বিচারে ডিটেনশনে দেওয়া হয়নি যে সরকার মানবিক কারণে বিষয়টা দেখতে পারে। এখানে এই বিষয়টি একেবারেই রাজনৈতিক নয়। এটা দুর্নীতির মামলা। মানবিক বিচার-বিবেচনার বিষয় আদালতই দেখবে। এটা সরকারের বিবেচনার আওতায় আসে না। বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আইনের বাইরে তারা কোনো প্রকার চাপ দিতে চায় সেটা সরকার মেনে নেবে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে না দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নাছির ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন বলয় ভাঙার জন্য কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখানে কোনো বলয়ের বিষয় না। আমরা একটা পরিবর্তন এনেছি। প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে।' কুয়েতে মানব পাচারে যুক্ত সাংসদ কাজী শহিদ ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদককে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হবে। | বিএনপি,রাজনীতি,আওয়ামী লীগ | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি | politics |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2020/04/17/521646 | 'ভাড়া করা লোক দিয়ে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ হচ্ছে' | প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্কটে পড়া অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করলে সে যে দলেরই হোক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে ঘরবন্দি দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ হাজার কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছেন, যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। তবুও রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হয়ে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় অরগানাইজ করে এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।' সরকার প্রতিটি দুস্থ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নয়; সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।' ত্রাণের জন্য হটলাইন খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সেখানে কেউ ফোন করলে তাকেও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা আশপাশের কোনো দেশে করা হয়েছে, আমি অন্তত জানি না।' তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই যখন ব্যবস্থা করা হয়েছে তখন প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়। আর কয়েকটি ফটোসেশন করা হয়। বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম | null | তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/09/27/%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0/ | মোহাম্মদপুরে চার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার | রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন- মো. হীরা (১৯), মো. হাসান (২৩), মো. রাকিব (২৩) ও মো. সাদ্দাম (২৬)। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে.কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাপান গার্ডেন সিটি মার্কেটের সামনে আগে ওৎ পেতে থাকে র্যাব-২ এর একটি দল। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে ৪ছিনতাইকারী উপস্থিত হয়ে একজন পথচারী মহিলার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ার চেষ্টা করে। সে সময় র্যাবের সদস্যরা দ্রুত উপস্থিতি হলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পরে ধাওয়া করে আটক করা হয় ৪ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রীয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তারা। এছাড়াও তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতেও র্যাব-২ অভিযান অব্যাহত রাখবে। | null | র্যাবের হাতে আটক ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্য | national |
https://www.ajkerpatrika.com/199416/%E0%A7%AB%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | ৫৭ বিচারককে চাকরিচ্যুত করলেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট | দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল বুধবার ৫৭ বিচারককে চাকরিচ্যুত করেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট। বিচারকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার অভিযোগও এনেছেন তিনি। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের এ উদ্যোগকে 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ' মনে করছেন অনেকে। গতকাল এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা বিচারকদের সংশোধনের অনেক সুযোগ দিয়েছি। বিচার বিভাগকে বারবার সতর্ক করেছি। তার পরও তারা নিজেদের সংশোধন করেননি।'এ ভাষণের কয়েক ঘণ্টা পর ৫৭ বিচারককে চাকরিচ্যুত করার সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়।চাকরিচ্যুতদের মধ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সাবেক প্রধান ইউসুফ বাউজাকার রয়েছেন। এ কাউন্সিলকে প্রেসিডেন্ট সাইদ গত ফেব্রুয়ারিতে ভেঙে দিয়েছেন। তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে কাউন্সিলটি বিচারিক স্বাধীনতার প্রধান গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করছিল। প্রেসিডেন্ট সাইদের এ পদক্ষেপকে 'বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ' বলে মনে করেন অনেকে।কাইস সাইদ গত জুলাইয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করে নির্বাহী ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০১৪ সালের সংবিধানকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দেন। তিউনিসিয়াকে সংকট থেকে বাঁচাতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন দাবি করে তখন থেকেই ডিক্রি জারি করে দেশ শাসন করছেন।অর্থনৈতিক স্থবিরতা, রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও দুর্নীতিতে জর্জরিত তিউনিসিয়ায় প্রাথমিকভাবে কাইস সাইদের এ পদক্ষেপগুলো জনসমর্থন অর্জন করেছিল। তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও নাগরিক সেবা হ্রাসের কারণে জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে।প্রেসিডেন্ট সাইদ ইতিমধ্যে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, 'এ মাসেই নতুন সংবিধান প্রবর্তন করা হবে এবং আগামী জুলাই মাসে গণভোট হবে।' তবে তিউনিসিয়ার প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং শক্তিশালী ইউজিটিটি শ্রমিক ইউনিয়ন সাইদের এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে।ইউজিটিটি এ সপ্তাহে বলেছে, সরকারি কর্মীরা ১৬ জুন ধর্মঘটে যাবেন। | দুর্নীতি,প্রেসিডেন্ট,বিচারক,তিউনিসিয়া | তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। টুইটার | international |
https://www.ajkerpatrika.com/55328/%E0%A6%B8%E0%A6%96%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8 | সখীপুরে সেতু সংস্কার দাবিতে মানববন্ধন | সখীপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কার ও গতিরোধক স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নলুয়া-টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ী কলাবাগান এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ মানববন্ধনে বেড়বাড়ী কলাবাগান বাজারের ব্যবসায়ী ও পাহাড়কাঞ্চনপুরের তিন শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেন।মানববন্ধনে দাবি করা হয়, উপজেলার নলুয়া-টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ী কলাবাগান এলাকায় সেতুটি অত্যন্ত সরু ও জরাজীর্ণ। পুরোনো ওই সেতুটি মূল সড়কের চেয়ে প্রায় ৪ ফুট সরু। ফলে ওই সেতুতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৮ অক্টোবর ফরহাদ (২০) নামের এক মোটরসাইকেল চালক ট্রাক চাপায় নিহত হন।একই সঙ্গে পাহাড়কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে দুটি গতিরোধক স্থাপনেরও দাবি জানান মানববন্ধন অংশ নেওয়া এলাকাবাসী।মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার। উপস্থিত ছিলেন ইউসিসিএ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এম সাইফুল ইসলাম শাফলু, যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, ইউরেকা শিক্ষা পরিবারের পরিচালক খান মুহাম্মদ মনির, সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, বছির উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন প্রমুখ।যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, 'পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ওই সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গতিরোধক নির্মাণ করা জরুরি। | সখীপুর,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের টাঙ্গাইল | সখীপুরের নলুয়া-টাঙ্গাইল সড়কে সেতু সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন। | national |
https://samakal.com/international/article/1905886/ফেলে-ভূমধ্যসাগরের-গভীরে-হচ্ছে-পার্ক | উড়োজাহাজ ফেলে ভূমধ্যসাগরে বানানো হচ্ছে পার্ক | ভূমধ্যসাগরের গভীরে একটি অভিনব পার্ক গড়ে তুলছে 'ফ্রেন্ডস অব জাইরা অ্যান্ড সিডন বিচ' নামের একটি সংস্থা। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের উকূলীয় শহর সিডনের সমুদ্র সৈকতেরনিকটবর্তী জিরা দ্বীপের কাছে এরই কর্মযঞ্জ চলছে বলে এএফপি জানিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ওই এলাকায় বিশেষ বাহনে করে বহন করে আনা হয় উড়োজাহজ, গাড়ি এবং সামরিক যানবাহনের মতো কিছু বাহন। সংস্থাটি বলছে, এই পার্কের মাধ্যমে সামুদ্রিক জীবনে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার, সমৃদ্ধ প্রবাল প্রাচীর আর পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা তৈরি হবে। পার্ক বানাতে পানিতে নামানো হচ্ছে উড়োজাহাজ- এএফপি | ভূমধ্যসাগর | উড়োজাহাজ ফেলা হচ্ছে সাগরেএএফপি | international |
https://www.prothomalo.com/politics/খালেদার-মুক্তি-চেয়ে-বিএনপির-প্রচারপত্র | খালেদার মুক্তি চেয়ে বিএনপির প্রচারপত্র | জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেছে বিএনপি। দেশের বিভিন্ন স্থানেও প্রচারপত্র বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। এই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকায় এই কর্মসূচি শুরু করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি এ সময় পথচারী ও রিকশাচালকদের হাতে প্রচারপত্র তুলে দেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ও কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে রিজভীসহ কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনের ফুটপাতে এসে দাঁড়ান। তাঁদের সবার হাতেই প্রচারপত্র ছিল। এ সময় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়া কয়েকজন পথচারীর হাতে প্রচারপত্র দেন তাঁরা। কয়েকজন রিকশাচালককেও প্রচারপত্র দেওয়া। এই কর্মসূচির কারণে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আগে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। সাদাপোশাকের পুলিশকেও সেখানে দেখা যায়। অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি দেখে প্রচারপত্র বিতরণের জন্য নেতারা আর সড়কে নামেননি। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে কয়েকজনের হাতে দিয়েই তাঁরা আবার ফটকের গেটের কাছে চলে আসেন। প্রচারপত্রের শিরোনাম-'শেখ হাসিনার ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার/খারিজ বনাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড'। ওপরে ডান পাশে খালেদা জিয়া ও বাঁ পাশের দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি। এতে লেখা হয়েছে, 'কাল্পনিক, সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলক মামলায়' বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া ১৫টি মামলার মধ্যে ছয়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার এবং অন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার নয়টি দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে খারিজ করা হয়েছে।' প্রচারপত্রে নয় দফা আহ্বান-সংবলিত একটি বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। এক জায়গায় খালেদা জিয়াকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের মানুষ দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। আমাকে আপনাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হলেও বিশ্বাস করবেন-আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। আপনারা গণতন্ত্রের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, জনগণের সরকার কায়েমের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।' প্রচারপত্র বিতরণের পর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর কী ধরনের অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তা জনগণকে জানানো হচ্ছে। কেবল সরকারের ক্রোধের কারণে অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি বলেন, প্রচারপত্র বিতরণের মতো একটি কর্মসূচি পালন করতে হয় শঙ্কা নিয়ে। এই হলো দেশের অবস্থা। | বিএনপি,রাজনীতি,খালেদা জিয়া | জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয়া পল্টন, ঢাকা, ১ মার্চ। ছবি: সাজিদ হোসেন | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/19113170/স্ক্রু-ড্রাইভার-ঢুকিয়ে-দিয়ে-যুবক-হত্যায়-গ্রেফতার-১ | পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে যুবক হত্যায় গ্রেফতার ১ | চট্টগ্রামে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দিয়ে এক যুবককে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ঢাকার মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. সোহেল কুমিলতা জেলার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নগরের খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। রোববার রাতে আমবাগান এলাকায় নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সোহেলের বিরুদ্ধে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রনব চৌধুরী জানান, হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়েছিল সোহেল। সোমবার সকালে রাজধানীর মালিবাগের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে, নাহিদ ও সে বন্ধু ছিল। শনিবার ঝাউতলা এলাকায় নাহিদরা মারামারি করতে গিয়েছিল। সে না যাওয়ায় রোববার রাতে নাহিদ দুই-তিনজকে নিয়ে এসে কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেলকে মারধর করে নাহিদ। তখন সোহেলের হাতে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নাহিদের পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহতবস্থায় নাহিদকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে সোহেলকে মারধর করতে দেখা গেছে। সোহেলকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। | পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা,গ্রেফতার,চট্টগ্রাম | নিহত নাহিদ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/113556/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8-%E0%A6%93 | একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা | ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে একটি 'নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।উদ্দীপক: নরসিংদী জেলা কলা ও লটকনের জন্য বিখ্যাত। এখানকার অধিকাংশ কৃষক কলা ও লটকন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ফলে এখানে কলা ও লটকন বাগান ব্যাপক হারে গড়ে উঠছে। কিন্তু লটকনের বর্তমান বাজারমূল্য প্রতিবছর ওঠানামার কারণে চাষিরা লটকন চাষের চেয়ে কলা চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। লটকন ব্যবসায়ীরা এতে প্রত্যাশিত লাভ করতে পারছেন না।(ক) দেশীয় ঐতিহ্য কোন ধরনের পরিবেশের মধ্যে পড়ে? ১(খ) সামাজিক পরিবেশ ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২(গ) উদ্দীপকে কোন পরিবেশের উপাদান বিদ্যমান রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩(ঘ) উদ্দীপকে কৃষকদের লটকন চাষ বাদ দিয়ে কলা চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কি সমর্থনযোগ্য? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪প্রশ্নের সমাধানক-অংশের উত্তরদেশীয় ঐতিহ্য সামাজিক পরিবেশের মধ্যে পড়ে।খ - অংশের উত্তরকোনো সমাজের বা জাতির মানুষের সংখ্যা তাদের ধর্ম,ধারণা, রীতিনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে যে পরিবেশের জন্মলাভ ঘটে তাকে সামাজিকপরিবেশ বলে।ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজবদ্ধ মানুষের চাহিদা বা প্রত্যাশা পূরণের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। যে সমাজে মানুষের সংখ্যা খুবই কম, ভোক্তাদের ক্রয়প্রবণতা সীমিত, রুচিবোধ নিম্নমানের, সেখানে ব্যবসায়ের প্রসার লাভ ঘটে না। তাই উন্নতমানের সামাজিক পরিবেশ ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।গ - অংশের উত্তরউদ্দীপকে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।মৃত্তিকা, নদী, সাগর, আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদির সমন্বয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে, তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।উদ্দীপকে দেখা যায় নরসিংদী জেলা কলা ও লটকনের জন্য বিখ্যাত। যার ফলে চাষিরা ব্যাপকহারে কলা ও লটকনের চাষ করেন। নরসিংদীর মৃত্তিকা, আবহাওয়া ইত্যাদি কলা ও লটকন চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানে কলা ও লটকন ভালো হয়। মৃত্তিকা ও আবহাওয়া প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান। তাই বলা যায় যে উদ্দীপকে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।ঘ - অংশের উত্তরউদ্দীপকে কৃষকদের লটকন চাষ বাদ দিয়ে কলা চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া অবশ্যই সমর্থনযোগ্য এবং তা যৌক্তিক।উদ্দীপকে দেখা যাচ্ছে কৃষকেরা লটকন চাষ বাদ দিয়ে কলার চাষ করছেন। কেননা লটকনের বাজার এখন অস্থিতিশীল। বাজারমূল্য ওঠানামা করে। কখনো লটকনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, কখনো হ্রাস পাচ্ছে। এসব কারণে কৃষকেরা লটকনের চাষ বাদ দিয়ে কলার চাষ করছেন। তবে নরসিংদী জেলায় উভয় ফলই ভালো জন্মায়।পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লটকন ও কলার চাষ নরসিংদী জেলায় লাভজনক কিন্তু যেহেতু লটকনের বাজারমূল্য অস্থিতিশীল, তাই উদ্দীপকের কৃষকেরা লটকন বাদ দিয়ে কলার চাষকরছেন এবং তা যৌক্তিক। এতে কৃষকেরা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। কোনো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে না।অতএব আলোচনা শেষে বলা যায়, উদ্দীপকে কৃষকদের লটকনের চাষ বাদ দিয়ে কলা চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যৌক্তিক। কেননা লটকনের বাজারমূল্য অস্থিতিশীল। আর কৃষকেরা এ জন্য কোনো ঝুঁকি নিতে চান না।লেখক: পপেল চন্দ্র সাহাসহকারী অধ্যাপকআবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী। | শিক্ষা,এইচএসসি,ছাপা সংস্করণ,সহায়িকা | একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/13/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%83%e0%a6%a4-%e0%a6%aa%e0%a6%be/ | চীনাদের যৌনতায় বিকৃত পা! | চীনা সমাজ আর সংস্কৃতি একদিকে যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি বড় অদ্ভুত আর বিচিত্রও। এর মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর পদ্মের মতো পায়ের প্রথা। যা যেকোরো কাছেই অমানবিক ঠেকবে। অথচ সেই অমানবিক প্রথাই যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয় হয়ে আছে। এককালে চীনের ধনী-গরীব নির্বিশেষে অনেক নারীকেই তাদের পা শক্ত করে বাঁধতে উৎসাহ দেয়া হতো। লক্ষ্য ছিলো পায়ের পাতা যাতে কোনোভাবেই চার ইঞ্চির বেশি বড় না হয়! আর এই উদ্ভট অমানবিক প্রক্রিয়ার কারণে দুমড়ানো-মোচড়ানো যে পা পাওয়া তৈরি হতো, তাকে চীনারা বলতো 'পদ্মের মতো পা'! তবে দুঃখজনক আর হতবাক করা কাণ্ড হচ্ছে, প্রাচীন চীনা সমাজে বিকৃত এই পা-ই ছিলো পুরুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি যৌনাবেদনময় অঙ্গ। সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনের আগে অনেকক্ষণ ধরে কেবল তার সেই পায়েই হাত বুলিয়ে আদর করতো! শুধু কি তাই কিং রাজবংশের সময়কালে বিকৃত পায়ে আদর করার নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছিলো। যেখানে ভারতের কামসূত্রের মতো চীনা নারীদের সেই বিকৃত পায়ে আদর করার ৪৮টি পদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছিল। চীনা নারী শরীরের সেই বিকৃত পা-কে শুধু যৌনাবেদনময় অঙ্গ বলাটা ভুল হবে। বরং সবচেয়ে বেশি যৌনাবেদনময় ছিল যার সঙ্গে কিছুরই তুলনা চলে না। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, চীনের যৌনতা বিষয়ক নানা বইয়ে নারীদের এমন ছবিও দেখা গেছে যেখানে তারা সারা শরীর উন্মুক্ত রাখলেও ঢেকে রেখেছে সেই 'পদ্মের মতো পা'। বিকৃত সেই পায়ের বাঁধনগুলো নিয়ে এমনভাবে খেলা করতে দেখা যেতো, যেন এখনই তারা পাগুলো সবার সামনে উন্মুক্ত করবে। তবে শেষ অবধি আকর্ষণ রেখেই দেয়। | ইতিহাস,চীনা,নারী,পা,প্রাচীন,বিকৃত,যৌনতা | চীনা নারীদের বিকৃত পা-ই যৌনতার কেন্দ্র! | international |
https://www.ajkerpatrika.com/23646/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AE%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF | শার্শায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি কাকাতুয়া পাখি উদ্ধার | যশোরের শার্শা সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮টি কাকাতুয়া পাখি উদ্ধার করেছে ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা। আজ বুধবার সকালে কাকাতুয়াগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেননি তাঁরা।২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের গোগা ক্যাম্পের সুবেদার মোস্তফা কামাল বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি শার্শা সীমান্ত পথে তোতা পাখি ভারতে পাচার করা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নজরদারি জোরদার করে। একপর্যায়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে সন্দেহভাজন একজনকে ধাওয়া করলে সে একটি খাঁচা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খাঁচার ভেতর থেকে ৮টি কাকাতুয়া পাখি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পাখির মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।মোস্তফা কামাল আরও বলেন, জব্দকৃত পাখিগুলো ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন খুলনা হেড কোয়াটারে পাঠানো হয়েছে। | যশোর,অপরাধ,খুলনা বিভাগ,শার্শা | শার্শায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি কাকাতুয়া পাখি উদ্ধার | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/05/08/647597 | খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী | অসুস্থ খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। বিদেশ যাত্রার অনুমতি কবে নাগাদ দেয়া হবে সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের যে কাজ সেটি করে দিয়েছি। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেগম জিয়ার ফাইল পাঠানো হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে কিছু জানাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কোন কিছু জানাবো না। আমাদের কাজ যেটা সেটা করে দিয়েছি। বাকিটা দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন | null | খালেদা জিয়া ও আনিসুল হক | national |
https://samakal.com/entertainment/article/19113266/পথে-হাঁটছেন-অভিনেতা-রুদ্রনীল | কোন পথে হাঁটছেন অভিনেতা রুদ্রনীল? | কলকাতার জনপ্রিয় তারকা রুদ্রনীল ঘোষ। তাকে নিয়ে জল্পনা, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপিতে) যোগ দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি এক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে সেই আভাস কিছুটা পাওয়া যায় বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আদলে বিজেপির রাজ্য ও সর্বভারতীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মানিত করা হয় যাত্রা, থিয়েটার, বাংলা ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কৃতীদের। এ তালিকায় ছিলেন এ তারকা অভিনেতা। 'ভিঞ্চিদা' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার সম্মাননায় ভূষিত করা হয় রুদ্রনীল ঘোষকে। তার প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই, কিন্তু যে রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সম্মান, সেই দলেই রুদ্রনীলের যোগদানের জল্পনা মাসকয়েক ধরে চলছে। এতে করে অনেকেরই মন্তব্য, তবে কি তিনি বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন। | রুদ্রনীল ঘোষ,বিনোদন | রুদ্রনীল ঘোষ | entertainment |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/নার্স-ও-মিডওয়াইফরা-অসাধ্য-সাধন-করতে-পারেন | নার্স ও মিডওয়াইফরা অসাধ্য সাধন করতে পারেন | আমরা অনেকে খেয়াল করি না, বর্তমানে দেশে গড়ে প্রতি তিনজন ডাক্তারের সহযোগিতার জন্য নার্স আছেন একজন। মিডওয়াইফ বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী আরও কম। অথচ অনুপাতটা হওয়া উচিত ঠিক উল্টো। একজন ডাক্তারের সহযোগিতায় থাকবেন তিনজন নার্স। বিশ্বের উন্নত বা এমনকি আমাদের মতো উন্নয়নশীল অনেক দেশেও এ রকম ব্যবস্থাই দেখা যায়। দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে ডাক্তারের তুলনায় নার্স ও মিডওয়াইফের সংখ্যা বেশ কম। কিন্তু বিশেষভাবে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর জন্য নার্স ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ বা ধাত্রী আরও বেশি দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রথম আলোর গোলটেবিল বৈঠকে কথাগুলো বলছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ওই আলোচনায় নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, এখন ঘাটতি পূরণের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু সংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন বলে এখন নার্স ও মিডওয়াইফারি পেশায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসম্পন্ন পেশাদারি বেড়েছে। এখন এ পেশার মর্যাদাও বাড়ছে। ফলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, সুইডিশ ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় কয়েকজন পিএইচডি করেছেন। ৩০০ জন মাস্টার্স করেছেন। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ডাক্তারই আসল, মিডওয়াইফ শুধু সহকারী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু আসলে তা নয়। শুধু জটিল কিছু ক্ষেত্র ছাড়া প্রসূতি মায়ের দেখাশোনা ও সন্তান জন্মের সময় মিডওয়াইফদের ভূমিকাই প্রধান। সন্তান জন্মের সময় যদি প্রসূতি মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, খিঁচুনি হয়, তাহলে কখন তা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে এবং কখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীকে পাঠাতে হবে, সেটাও কিন্তু মিডওয়াফই ভালো বোঝেন। জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর যদি মানসম্পন্ন লেবার রুম থাকে, হাতের কাছে অ্যানেসথেটিস্ট বা অবেদনবিদ থাকেন, প্রয়োজনে রক্ত দেওয়া বা অপারেশনের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে মা ও শিশু মৃত্যুহার পরিকল্পিত লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে দেশে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে (জীবিত সন্তান জন্ম দেওয়া) মাতৃমৃত্যু হার প্রায় ১৭২। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যু হার ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এটা কি সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। ইতিমধ্যে কাজ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। আগামী ১১ বছরে বর্তমান মাতৃমৃত্যু হার অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনা কঠিন নয়। তবে এ জন্য অনেক বেশি কাজ করতে হবে। প্রথমত, দক্ষতাসম্পন্ন মিডওয়াইফ ও নার্স দরকার। তাঁদের পেশার মর্যাদা বাড়ানো খুব দরকার। তাঁদের চাকরির যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিও হতে পারে, সে ব্যবস্থা করা উচিত। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মাতৃস্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র যেন কার্যকর থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হলে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব। এখানে প্রয়োজন নার্স-মিডওয়াইফদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা। আর দরকার জরুরি ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রসূতি মাকে ইউনয়ন পর্যায় থেকে উপজেলা বা জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। সবকিছু যে সরকার করবে তা নয়। যেমন অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিমালিকানায়ও চলতে পারে। এখন গ্রামপর্যায় পর্যন্ত পাকা রাস্তা হয়েছে। সবার কাছে মোবাইল ফোন আছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কঠিন নয়। সমস্যা হলো, এখনো অনেক গ্রামের পরিবারের সদস্যরা প্রসূতি মাকে সন্তান জন্মের সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে চান না বা খুব উৎসাহ দেখান না। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হলে শেষ মুহূর্তে জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু জন্মের হার এখনো ৪০ শতাংশের মতো, অথচ অনায়াসে এটা ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া যায়। এটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। অবশ্য এখানে একটা কথা আছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেন যেতে চাইবেন না। সেখানে যদি সার্বক্ষণিক নার্স-মিডওয়াইফ, মানসম্পন্ন লেবার রুম ও অন্যান্য জরুরি সেবার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে অবশ্যই সবাই সেখানে যাবেন। এসব ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করতে হবে। তাহলে ৮০ শতাংশ কেন, ১০০ ভাগ প্রসূতি মা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন। এতে সন্দেহ নেই। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সবাইকে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতেই হবে, তা নয়। মূল ব্যাপার হলো দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফের উপস্থিতিতে সন্তান জন্মদানের ব্যবস্থা। সেটা নিজের বাসায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে হলেও চলে। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে যে নার্স ও মিডওয়াইফ থাকবেন, তাঁদের গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যেসব বাসায় সন্তানসম্ভবা মা থাকবেন, তাঁদের খোঁজখবর রাখতে হবে। শিশু জন্মের আগে-পরে কখন কী করা দরকার এবং তাদের স্বাস্থ্যের নিয়মিত খোঁজখবর রাখাই হবে নার্স ও মিডওয়াইফদের কাজ। দক্ষ মিডওয়াইফ তৈরির জন্য দরকার দক্ষ শিক্ষক। সে ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি যে ব্যবস্থা আছে, তার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগের প্রসারও চাই। প্রকৃতপক্ষে দেশেই শুধু না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ মিডওয়াইফের চাহিদা রয়েছে। আর আমাদের দেশে মিডওয়াইফরা সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। এখনো করছেন। বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও তা দেখেছেন। এ অবস্থায় দেশে দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুযোগ ও চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার তো অবশ্যই উদ্যোগ নেবে; সেই সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগও আসবে। এখানে একটি বড় সমস্যা রয়েছে। আমাদের দেশে বেসরকারি উদ্যোগে অনেক সমস্যা থাকে। অনেক বেসরকারি ক্লিনিকে মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করার প্রতি তেমন মনোযোগ দেখা যায় না। দক্ষ মিডওয়াইফের পরিবর্তে অনেক সময় গ্রামের অদক্ষ ধাই নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারের এদিকে নজরদারি দরকার। তা না হলে পরিস্থিতির উন্নতি কঠিন। আশার কথা যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেবার মান বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিচ্ছে। ইউএনএফপিএ কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কাজ করছে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। সরকারও তাদের সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। চ্যালেঞ্জ কঠিন, সন্দেহ নেই। আমাদের এই জনবহুল দেশে প্রায় সোয়া দুই লাখ নার্স ও মিডওয়াইফ দরকার। আর এখন বছরে ১২ থেকে ১৩ হাজার নার্স প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন। এই হারে আমাদের প্রয়োজন মেটাতে অন্তত ২০ বছর লাগবে। তাহলে তো চলবে না। তাই এখন আমাদের দরকার মানসম্পন্ন শিক্ষক ও শিক্ষাকেন্দ্র। সব দৃষ্টি এদিকে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। আব্দুল কাইয়ুম প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক [] | সমাজ,জনস্বাস্থ্য,আব্দুল কাইয়ুম | প্রথম আলো ফাইল ছবি। | opinion |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/ভারতে-ভিলেনদের-হিরো-হয়ে-ওঠা | ভারতে ভিলেনদের হিরো হয়ে ওঠা | নতুন 'নায়ক'দের সময়ভারতের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে বিস্তর বিশ্লেষণ হয়েছে। আরও হবে। ভোটারদের 'মন জয়'-এর কারণ হিসেবে বিজেপি ও মোদি জির অনেক ইতিবাচক কাজের বিবরণ জানাচ্ছেন আলোচকেরা। তবে একটি বিষয় আলোচনায় বেশি আসেনি। বিজেপি জোটের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন ধরনের ফৌজদারি অপরাধে বিচারাধীন আসামির সংখ্যাও গতবারের চেয়ে বেশ বেড়েছে এবার। মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় 'আসামি' ছিল ৩১ শতাংশ। এবার হয়েছে ৩৯ শতাংশ। আসামি হলেও এঁরা ভোটেই 'জিতে এসেছেন'; সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে! ভারতের গবেষণা সংস্থা এডিআর জানাচ্ছে, ৩০ মে ভারতে নতুন যে মন্ত্রিসভা হলো, তার ৫৭ সদস্যের ২২ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা আছে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামাতেই সেটা উল্লেখ করেছিলেন এই মন্ত্রীরা। এর মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন 'গুরুতর'। অর্থাৎ অনেকের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মামলাও আছে। এ রকম সাতটি পর্যন্ত মামলা আছে এমন ব্যক্তিও মন্ত্রী হয়েছেন। এর মধ্যে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মামলা। অথচ তাঁকে নিয়েই এই মুহূর্তে সমগ্র ভারত উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেও বিশ্লেষক ও প্রচারমাধ্যমে ক্ষণে ক্ষণে উচ্চারিত হচ্ছে অমিত শাহর নাম। তাঁকে নিয়ে বই প্রকাশের ঘোষণা এসেছে। সিনেমা তৈরির উদ্যোগ চলছে। বলা হচ্ছে, রাজনীতিতে অমিত শাহর আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ও বিরোধীদের দলনে নির্মমতাই বিজেপির ভূমিধস বিজয়ের মূল জাদু। অমিতই মূল 'নায়ক'। গুজরাটের অমিত শাহ যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীজিন্নাহ ও গান্ধীর পরিবারের সূত্রে উপমহাদেশের ইতিহাসে গুজরাটের বিশেষ খ্যাতি আছে। সেই গুজরাট এখন আরও গর্বিত মোদি ও অমিত শাহকে নিয়ে। এই বিস্ময় ইতিমধ্যে ভারতীয়দের কেটে গেছে যে, গান্ধীর গুজরাট থেকেই অমিত শাহ উঠে এসেছেন। গান্ধীর জগৎখ্যাত উক্তি ছিল, 'চোখের বদলে চোখনীতি গোটা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।' অমিত শাহর সামনে অবশ্য এ মুহূর্তে উৎপাটনযোগ্য আর কিছু বাকি নেই। তিনি বহু কিছু ছিলেন। বহু কিছু হলেন। তার মধ্যে গুজরাট দাবা ফেডারেশনের একসময়কার সভাপতিও ছিলেন। অসাধারণ এই 'দাবাড়ু' ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিপক্ষদের তো বটেই খোদ বিজেপির আদভানি, সুষমা স্বরাজ, মুরলি মনোহর যোশিদেরই নিঃস্ব করে রাজনীতি থেকে বিদায় দিয়েছেন। ভারতজুড়ে বহুল আলোচিত 'সোহরাবুদ্দীন মার্ডার কেস' দিয়ে ফৌজদারি মামলার জগতে অমিত শাহর অভিষেক হয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদেরই আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিপুল দৃষ্টান্ত আছে। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে যাঁরাই তাঁর কথা শোনেনি, তাদেরই খারাপভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। ২০১২ সালে নির্বাচনী হলফনামায় স্ত্রীসহ অমিত শাহর সম্পদ দেখানো হয়েছিল ১২ কোটি রুপির। এবার সেটা দেখানো হয় ৩৯ কোটি। বিজেপির এক মেয়াদেই শাহ পরিবারের সম্পদের এরূপ বৃদ্ধি এ মুহূর্তে ভারতীয় রাজনীতিতে মোটেই কোনো ইস্যু নয়। বিজেপির সভাপতি হওয়ার পথে কোনো ধরনের অপরাধের অভিযোগ তাঁকে থামাতে পারেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর আবির্ভাব তাই সমগ্র ভারতের জন্যই বিশেষ বার্তাবহ। সাত মামলার আসামি পেলেন দুই মন্ত্রণালয়ভারতে নতুন মন্ত্রিসভার অভিষেকের ৯ দিনের মাথায় মোদি শ্রীলঙ্কায় গেছেন। সেখানে তিনি জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত খ্রিষ্টানদের সহানুভূতি জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতে তাঁর মন্ত্রিসভা নিয়ে খ্রিষ্টানরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। কারণ তাতে স্থান দেওয়া হয়েছে প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গীকে। ফৌজদারি মামলার আসামি মন্ত্রীদের মধ্যে প্রতাপ চন্দ্র এ মুহূর্তে শুধু ভারত নয়, বৈশ্বিক মনোযোগ কেড়েছেন। বিজেপি প্রভাবিত মিডিয়াগুলো ওডিশার এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠককে সাদাসিধা একজন মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে সচেষ্ট। ঢাকার প্রচারজগতেও তার ছাপ পড়েছে। এটা সত্য, সাধারণ পোশাক পরেন তিনি এবং থাকেন কুঁড়েঘরের মতো একটা বাড়িতে। তাঁর ব্যাংক ব্যালান্সও সামান্য। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এসব অতি বিরল এখন। কিন্তু প্রতাপ চন্দ্রের ক্ষেত্রে এসবকে বিভ্রান্তিকর প্রচ্ছদ বলেও গণ্য করা যায়। ৬৪ বছর বয়সী সাদাসিধা মানুষটি সাতটি ফৌজদারি মামলার আসামি। মারামারি, খুনোখুনি, অন্য ধর্মের মানুষদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ উসকে দেওয়া ইত্যাদি নানান অভিযোগ 'জনপ্রিয়' এই নেতার বিরুদ্ধে। আরএসএস-বিজেপি পরিবারের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক গণসংগঠন বজরং দল ওডিশার সভাপতি তিনি। এই বজরং দলের কর্মীরাই ১৯৯৯-এ ওডিশায় অস্ট্রেলিয়ার খ্রিষ্টান পুরোহিত গ্রাহাম স্টেইনকে দুই ছেলেসহ ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করেন। প্রতাপ এখনো এই হত্যার মাঝে কোনো সমস্যা খুঁজে পান না। ২০০২ সালে 'বজরং দল', 'দুর্গাবাহিনী' এবং 'বিশ্ব হিন্দু পরিষদ' মিলে ওডিশার বিধানসভা ভবনে যে হামলা করে, তাতেও প্রতাপ নেতৃত্বে ছিলেন বলে কথিত রয়েছে। সে সময় আটকও হন তিনি। বিরুদ্ধবাদীদের অভিযোগ, উগ্র মতাদর্শ ও ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোতে বিশেষ দক্ষ তিনি। এই 'দক্ষতা'তেই ওডিশা থেকে লোকসভার সদস্য হয়ে মোদির টিমে যুক্ত হতে পেরেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, তাঁকে দুটি দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে। সম্ভবত ভারতজুড়ে খ্রিষ্টানদের একটা শক্ত বার্তা দিতেই সচেতনভাবে প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গীকে দুই দপ্তরের মন্ত্রী করা হলো। বিজেপির কর্মীরা তাঁকে বলছেন 'ওডিশার মোদি।' তবে শুধু ওডিশা নয়, প্রায় সব রাজ্যেই এখন এ রকম মোদি বিপুল। অধিকাংশ ব্যক্তিই নায়কোচিত সংবর্ধনা নিয়ে উঠে আসছেন নয়াদিল্লির দিকে। কারও কারও জীবনবৃত্তান্ত অমিত শাহ ও প্রতাপ চন্দ্রের চেয়েও 'সমৃদ্ধ'। হাল আমলের এ রকম আরেক তারকা প্রাগ্য ঠাকুর। এখনো মন্ত্রী হননি। তবে প্রতাপ চন্দ্রের মন্ত্রিত্ব পাওয়া প্রাগ্য ঠাকুরের মন্ত্রী হওয়ার পথে আশাবাদ তৈরি করেছে। ২০০৮-এর সেপ্টেম্বরে ভারতজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রধান কারিগর হিসেবে প্রাগ্যকে অভিযুক্ত করা হয়। কোথাও কোথাও মুসলমানদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এবং কোথাও আবার মুসলমানবিরোধী দাঙ্গা উসকে দিতে হিন্দু স্থাপনা লক্ষ্য করে ওই সন্ত্রাসী কাজ চালানো হয়। হামলার কাজে ব্যবহৃত প্রাগ্যর মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলেই পাওয়া যায়। তাঁর নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী একটি গোষ্ঠী এই হামলায় যুক্ত বলে বিভিন্ন তদন্তে বেরিয়ে আসে। তাঁদের আদালতে আনা হলে সবাইকে চমকে দিয়ে 'শ্রী রাম সেনা' নামের একটি সংস্থা আইনি সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে। পরে বাড়তি তদন্তে দেখা যেতে থাকে 'রাষ্ট্রীয় জাগরণ মঞ্চ', 'অভিনব ভারত' ইত্যাদি নামে বহু গোপন সংগঠন প্রাগ্যদের সহযোগী। ওই ঘটনায় অন্তত ১০ জন মারা যান এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। ঘটনায় সম্পৃক্ততার জন্য ইতিমধ্যে নয় বছর কারাগারেও কাটিয়েছেন প্রাগ্য। এবারের নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে ভূপাল থেকে মনোনয়ন দেয়। মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিংকে প্রায় চার লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রাগ্যের বিজয় প্রমাণ করছে, হত্যা ও দাঙ্গায় তাঁর সম্পৃক্ততা ভোটারদের কাছে তাঁর মর্যাদাই শুধু বাড়িয়েছে। নির্বাচনী প্রচারকালে প্রকাশ্যেই তিনি গান্ধীর হত্যাকারীকে 'দেশপ্রেমিক' হিসেবে অভিহিত করতেন। অমিত শাহ নিজে প্রাগ্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগকে মিথ্যা বলছেন। আর এও হয়তো অনেক পাঠকের জানা, প্রাগ্য যে ঘটনার আসামি,তার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কারকারে আরেক 'সন্ত্রাসী' ঘটনায় রহস্যজনকভাবে নিহত হন। লোকসভা যেন বিচারাধীন আসামিদের মিলনমেলাএটা ভাবার কোনো কারণ নেই, প্রগ্যা ও প্রতাপরা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রতীক। এদের তালিকা দীর্ঘ এবং তাঁরাই ভারতীয় রাজনীতিতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। উল্লিখিত গবেষণা সংস্থা এডিআরের আরেক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভারতে এবার লোকসভায় যতজন এমপি হয়েছেন তাঁদের ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে কোনো না কোনো অপরাধের মামলা রয়েছে। এটা গত সংসদের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। এডিআরের তথ্য থেকে শঙ্কা হয় ভারতীয় পার্লামেন্ট বিচারাধীন আসামিদের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে কি না। এ রকম আসামি এমপিরা সবাই বিজেপির নন, কংগ্রেসেরও আছেন। অন্য দলেরও আছেন। তবে বিজেপির প্রতিনিধি সংখ্যা অন্যদের চেয়ে বেশি। তাদের ৩৯ ভাগ এমপিই ফৌজদারি আসামি। ভারতে বিচারাধীন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বাধা নেই। তবে অপরাধী প্রমাণিত হলে এমপিত্ব যায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, ঠিক কী ভরসায় এত এত অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন? এর উত্তর খুব সোজা। এর উত্তর হলেন অমিত শাহ। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতায় থাকলে গুরুতর অভিযোগের ফৌজদারি মামলাও রাজনীতিতে আসামিদের স্তব্ধ করতে পারে না। এর তারকাসাক্ষী বিজেপির প্রেসিডেন্ট। এ রকম ক্ষেত্রে বিজেপি যা করেছে তা হলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধর্মের ঢাল দিয়ে আড়াল করেছে। মুসলমান ও খ্রিষ্টান বিরোধিতার সৈনিক হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে বোমা হামলা, খুন, ধর্ষণের আসামিদেরও। ঠিক এই ফর্মুলাতেই আইনের চোখে ভিলেন হলেও ধর্মভীরু ভারতীয় হিন্দুদের কাছে অনেক 'অপরাধী' আজ হিরো। এরাই হয়ে দাঁড়িয়েছেন আম্বেদকর, গান্ধী, নেহরুদের উত্তরপুরুষ। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর চোখে 'নিরপরাধ' প্রাগ্য ঠাকুরের মামলার পরিণতি কী দাঁড়াবে, তা অনুমান করা দুঃসাধ্য নয়। আবার প্রাগ্য ঠাকুর মন্ত্রী হলে যাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৮-এ বোমা বসানো হয়েছিল, তাদের যে আরও দুর্গতি আছে, সেটাও নিশ্চিত। কিন্তু এটা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত, অমিত শাহ, প্রতাপ চন্দ্র, প্রাগ্য ঠাকুররাই লোকসভায় বসে আগামী দিনের ভারতের নীতি নির্ধারণ করবেন। সে ভারতের অভিমুখটি অনুমান করা দুঃসাধ্য নয়। কিন্তু সে রকম এক ভারত কতটা স্বস্তিকর হবে? আলতাফ পারভেজ: দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক | আন্তর্জাতিক,ভারত,আলতাফ পারভেজ | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গী | opinion |
https://samakal.com/international/article/1612258682/তৃতীয়বার-ভোটে-দাঁড়ানোর-সুযোগ-থাকলে-আমিই-জয়ী-হতাম | 'তৃতীয়বার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকলে আমিই জয়ী হতাম' |
তৃতীয়বার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকলে তিনিই জয়ী হতেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সিএনএন ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে 'দ্য অ্যাক্স ফাইলসে' প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ওবামা এমন মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বারাক ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভালো কাজ নিয়ে এখনও বিশ্বাসী মার্কিন নাগরিকরা। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি সেই কাজই করতেন যা দেশের জন্য ভালো হবে এমন কাজ করতেন যা তাকে বেশি জনপ্রিয় করে তুলবে।
তবে ওবামার এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ওবামা ভাবেন, আমার বিরুদ্ধে তিনি জয়ী হতে পারতেন। কিন্তু আমি বলছি, কোনো উপায় নেই।
টানা দুই দফা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা ওবামার মেয়াদ জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে।
গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তিনি ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। | বারাক ওবামা | বারাক ওবামা | international |
https://www.ajkerpatrika.com/69215/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF | এক সদস্যে চলছে কমিটি | রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি চলছে এক সদস্য দিয়ে। ২০১৯ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের ২২ মাস পার হলেও একজন সদস্য শুধু আছেন সাধারণ সম্পাদক পদে।দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, দুই যুগ পর ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। সম্মেলনের দিন কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতার ভিত্তিতে তিন বছর মেয়াদি কমিটিতে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি হয়েছিলেন আগের কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুদ্দোজা এবং সাধারণ সম্পাদক হন জেলা কমিটির সদস্য ও রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত।সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিধিনিষেধে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর গঠন করা সম্ভব হয়নি। এদিকে গত ২৪ মার্চ উপজেলা সভাপতি মিছবাহুদ্দোজা বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। কমিটির একমাত্র নির্বাচিত সদস্য এখন শুধু সাধারণ সম্পাদক। ৭১ সদস্যের উপজেলা কমিটির ৭০টি পদ এখন শূন্য।উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি খসড়া তালিকা করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরই করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। বিধিনিষেধে চলাকালে দলের নেতা-কর্মীরা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। দলীয় কাজেও স্থবিরতা আসে। এ প্রেক্ষাপটে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সভাপতির মৃত্যুর পর সাধারণ সম্পাদক একা হয়ে গেছেন। তিনি উপজেলার আট ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত বলেন,সভাপতিসহ খসড়া কমিটির তালিকাতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকে মারা গেছেন। তবে দলের কার্যক্রম বন্ধ না। একা হওয়ায় দায়িত্ব আরও বেশি বলে মনে করি। তবে অন্যান্য উপজেলায় সম্মেলনের দিন সভাপতি-সম্পাদকসহ ন্যূনতম সাত-আটজনকে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। এখানে তা হয়নি। এ রকম থাকলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত কাজে সহযোগিতা হতো।মিলন বখত আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষা করছেন। গত জুলাই মাসে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সঙ্গে রাজনগর উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে কথা হয়েছে।আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, করোনার কারণে কমিটি গঠন হয়নি। কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্রে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,রাজনগর,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ,সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার হবিগঞ্জ | এক সদস্যে চলছে কমিটি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/97130/%E0%A6%A8%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | নড়াইলে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা পেলেন পুরস্কার | নড়াইল জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় পুলিশ লাইনসে ড্রিলসেডে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কল্যাণ সভায় গত নভেম্বরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রবীর কুমার রায়।কল্যাণ সভায় তিনি জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এ সময় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বানও জানান এসপি প্রবীর কুমার।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, তানজিলা সিদ্দিকা, এস এম কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার প্রমুখ। | পুলিশ,খুলনা বিভাগ,খুলনা,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,যশোর নড়াইল মাগুরা | পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার | national |
Subsets and Splits