content
stringlengths 0
129k
|
---|
সশস্ত্র সংগ্রামে সমর্থন জোগাড় করার জন্য তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন
|
ইংল্যান্ডেও গিয়েছিলেন
|
নিজে গেরিলা যুদ্ধের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ নেন ইথিওপিয়া ও মরক্কোতে অবস্থিত আলজিরিয়ান ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের বিভিন্ন শিবিরে
|
পরে রিভোনিয়া মামলায় ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, "আফ্রিকায় আমাকে বেন বেল্লার মানুষ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আলজিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বেন বেল্লা সেদিন আমাকে ওউজদায়, আলজিরিয়ান ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সদর দফতরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন
|
" ১৯৬২ সালের জানুয়ারিতে প্যান আফ্রিকান ফ্রিডম মুভমেন্ট অফ ইস্ট অ্যান্ড সেন্ট্রাল আফ্রিকার সম্মেলনে তিনি ভাষণ দান করেছিলেন
|
ছয় মাস বিদেশে থাকার পর ম্যান্ডেলা ১৯৬২ সালের জুলাইয়ে দেশে ফিরে আসেন
|
ম্যান্ডেলার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ
|
ম্যান্ডেলাকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে যে সিআইএর ভূমিকা ছিল তা এখন মার্কিন পত্রপত্রিকাতেও বলা হচ্ছে
|
নিউ ইয়র্ক টাইমস (১০ জুন, ১৯৯০) বলছে, "নেলসন ম্যান্ডেলার ১৯৬২-তে গ্রেফতারের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল সিআইএ
|
" নিউজ উইক পত্রিকাও একই কথা জানিয়েছে
|
সিআইএ তাদের বন্ধু সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারকে তথ্য সরবরাহ করে এবং তারই ভিত্তিতে ম্যান্ডেলাকে গ্রেফতার করা হয়
|
তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রিটোরিয়ায়
|
শুরু হয় রাজদ্রোহের মামলা, যা 'রিভোনিয়া ট্রায়াল' নামে পরিচিত
|
ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগ ছাড়াও আরো ছিল শ্রমিক ধর্মঘটে উসকানি দেয়া ও বেআইনিভাবে দেশত্যাগের অভিযোগ
|
বর্ণবাদী ফাসিস্তদের বিচারে তাঁকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড (১২ জুন, ১৯৬৪)
|
২৭ বছরের জেলজীবনে তাকে অধিকাংশ সময় নিঃসঙ্গ থাকতে হয়েছিল
|
নির্যাতনও কম হয়নি
|
ওরা তাঁকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল
|
কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসীবাদের ইচ্ছানুযায়ী ইতিহাস পরিচালিত হয় না
|
এএনসি ও কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ সংগ্রাম, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের কার্যকর সহযোগিতা, তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের দৃঢ় সমর্থন এবং বিশ্বজনমতের পরিপ্রেক্ষিতে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফাসিস্ত সরকার পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল
|
১৯৯০ সালে মাদিবা মুক্তিলাভ করেন
|
যৌবনে কারাগারে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে বের হলেন
|
কারাগারে থাকলেও নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের হৃদয়ে
|
তিনি ছিলেন সশস্ত্র সংগ্রামীদের প্রেরণাদাতা
|
১৯৯৪ সালে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসনের বদলে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হলো
|
ম্যান্ডেলা ছিলেন প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট
|
১৯৯৯ সালে তিনি বয়সের কারণে স্বেচ্ছায় প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে আসেন
|
এরপর সরাসরি রাজনীতি না করলেও আফ্রিকার সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে ভাবতেন এবং কাজও করতেন
|
বিশ্ব সমস্যা নিয়েও তিনি ভাবতেন এবং কথা বলতেন
|
তাঁর সেই সকল মতামতের মূল্য ছিল অপরিসীম
|
গান্ধীবাদী না মার্কসবাদী
|
নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে সারা বিশ্ব শোকাভিভূত
|
জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত ম্যান্ডেলার স্মরণসভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছাড়াও ছিলেন তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট- জিমি কার্টার, বিল ক্লিনটন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ
|
সেই আমেরিকার সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট, যে আমেরিকা কিছুদিন আগেও বলেছিল, "ম্যান্ডেলা সন্ত্রাসবাদী"
|
এসেছিলেন ব্রিটিশ রানীর প্রতিনিধি রাজকুমার চার্লস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামারুন
|
লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল
|
সেই ব্রিটিশ সরকার, যারা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারকে মদদ দিয়ে এসেছিল এবং ম্যান্ডেলার মৃত্যুই কামনা করেছিল
|
তাহলে কী হঠাৎ করে সাম্রাজ্যবাদীদের মানসিক পরিবর্তন ঘটেছে?
|
মানসিক পরিবর্তন না হলেও বিশ্ব জনমত ও প্রবল গণসংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে তারা পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে
|
সেদিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, "ম্যান্ডেলা সন্ত্রাসবাদী"
|
এখন ওবামা বলছেন, "আমরা হারিয়েছি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী, নির্ভীক, নির্ভেজাল একটি ভালো মানুষকে
|
" মাত্র সেদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বর্ণবাদকে উৎসাহিত করেছিল, সমর্থন দিয়েছিল ম্যান্ডেলার কারাদন্ডকে
|
এখন ডেভিড ক্যামারুন বলছেন, "বর্তমান যুগের সর্বোচ্চ নেতাকে আমরা হারালাম
|
নিভে গেল একটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক
|
যাই হোক, এই পরিবর্তনকে আমরা স্বাগত জানাই
|
তবে মনে রাখতে হবে যে, এই পরিবর্তনের পেছনেও একটা কৌশল কাজ করে
|
তারা ম্যান্ডেলাকে দেখাতে চান একজন "ভালো মানুষ" হিসেবে, যিনি সাদা চামড়ার প্রাক্তন শাসকদের প্রতি উদার মনোভাব দেখিয়েছেন, প্রতিহিংসার মনোভাব দেখাননি এবং জাতীয় সামঞ্জস্যবিধানের ( ) নীতি গ্রহণ করেছিলেন
|
তাই তারা ম্যান্ডেলাকে আজ গান্ধীবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়
|
এমনকি ম্যান্ডেলাকে "দক্ষিণ আফ্রিকার গান্ধী" নামে অভিহিত করা হয় কখনো
|
তিনি যে আগাগোড়া বিপ্লবী ছিলেন, এই ধারণাটা ভুলিয়ে দিতে চায় ওরা
|
তাই এটা সাম্রাজ্যবাদের চাতুর্যপূর্ণ কৌশলও বটে
|
মহাত্মা গান্ধীকে যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ নির্যাতন করেছিল এবং যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতার কারণে মহান শান্তিবাদী গান্ধীকে শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ দেয়া সম্ভব হয়নি (তার মানে নোবেল প্রাইজ কমিটিও ছিল সাম্রাজ্যবাদের লেজুড়), সেই ব্রিটিশ ও অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদ এখন সেই গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ
|
তারা নিপীড়িত ও শোষিত মানুষকে বলতে চায়, বিপ্লব নয়, গান্ধীর মতো অহিংস পথে এসো
|
এই প্রসঙ্গে লেনিনের একটি বক্তব্য খুবই প্রণিধানযোগ্য
|
বিখ্যাত "রাষ্ট্র ও বিপ্লব" গ্রন্থটি তিনি শুরুই করেছেন নিম্নোক্ত বাক্যগুলো দিয়ে-
|
"শোষিত শ্রেণীসমূহের মুক্তিসংগ্রামের নেতা ও বিপ্লবী চিন্তাবিদদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিহাসে বারংবার যা ঘটেছে, আজ মার্কসের শিক্ষার ক্ষেত্রে তাই ঘটছে
|
মহান বিপ্লবীদের জীবদ্দশায় শোষকশ্রেণীরা তাদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছিল
|
বর্বরতম বিদ্বেষ, ক্রোধান্বিত ঘৃণা এবং মিথ্যা ও কুৎসার সর্বাধিক শঠতাপূর্ণ প্রচার দ্বারাই তাদের শিক্ষাকে তুলে ধরেছিল
|
তাদের মৃত্যুর পরে প্রচেষ্টা নেয়া হয় তাদেরকে অক্ষম প্রতিমায় রূপান্তরিত করা, তাদেরকে সিদ্ধপুরুষ হিসেবে চিত্রিত করা এবং শোষিত শ্রেণীসমূহের 'সন্তুষ্টি'র জন্য তাদের নামকে ঘিরে এক ধরনের মহামান্বিত ভাব তৈরি করা
|
শোষিতশ্রেণীকে প্রতারিত করার প্রয়োজনে তারা একই সঙ্গে এই বিপ্লবীদের শিক্ষার বিষয়সমূহকে বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার ধারকে ভোঁতা করে দেয় এবং বিকৃত করে
|
একই কথা ম্যান্ডেলা প্রসঙ্গেও খাটে
|
ম্যান্ডেলার বিপ্লবী ভূমিকাকে আড়াল করে তাকে একজন "সাধুপুরুষ" বলে চিত্রিত করতে চায় পাশ্চাত্যের মিডিয়া ও রাজনীতিবিদগণ
|
কিন্তু ম্যান্ডেলা বারবার বলেছেন, "আমি কোনো সাধুপুরুষ () নই, আমি সংগ্রামের একজন কর্মী মাত্র
|
" এই কথার মধ্যে সত্যতা থাকলেও, তার বিনয়ী চরিত্রটিও বোঝা যায়
|
নেলসন ম্যান্ডেলা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, কিন্তু শান্তিবাদী গান্ধীবাদী ছিলেন না
|
তিনি ছিলেন সশস্ত্র বিপ্লবী
|
উপরন্তু তিনি মার্কসবাদী কমিউনিস্টও বটে
|
১৯৬২ সালে যখন তিনি গ্রেফতার হন, তখন তিনি ছিলেন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
|
একটা পর্যায় পর্যন্ত এএনসি এবং ম্যান্ডেলা নিজেও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস সংগ্রামের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন
|
কিন্তু পরবর্তীতে গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও তাঁর অহিংস পথে আর চলেননি
|
রিভোনিয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে ম্যান্ডেলা অকপটে বলেছেন, "শুরুতে এমনভাবে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেছিলাম, যাতে কোনোপ্রকার হিংসাত্মক উপায় নিতে না হয়
|
তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার আইন তৈরি হলো
|
এবং তারপর যখন সরকারি নীতির বিরোধিতা করার শাস্তি হিসেবে সরকার বলপ্রয়োগের পথ নিল, তখনই আমরা স্থির করলাম, হিংসার জবাব আমরা দেব হিংসার ভাষাতেই
|
পঞ্চাশের দশকে ম্যান্ডেলা মার্কসবাদে দীক্ষা গ্রহণ করেন, যার প্রতি আজীবন নিষ্ঠাবান ছিলেন
|
এ কথা সত্য যে, প্রথম জীবনে তিনি কমিউনিস্টবিরোধী ছিলেন
|
তার কারণ এএনসিতে তখন শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গদের প্রবেশাধিকার থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকান কমিউনিস্ট পার্টিতে সাদা কালোর মধ্যে কোনো প্রভেদ করা হতো না
|
কমিউনিস্ট পার্টিতে সাদা চামড়ার কমরেডরাও ছিলেন বলে এএনসির সদস্যরা তখন এই পার্টিকে অপছন্দ করতেন
|
ম্যান্ডেলাও ব্যতিক্রম ছিলেন না
|
পরে যখন তিনি মার্কসবাদী হয়ে উঠলেন, তখন তাঁর ভুল ভাঙল
|
বলাই বাহুল্য যে, কমিউনিস্ট পার্টিতে যে সকল সাদা চামড়ার সভ্য ছিলেন তাঁরা বর্ণবাদ, ফাসিস্ত সরকার ও শ্রেণীশোষণের বিরুদ্ধে নিষ্ঠার সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন এবং আত্মত্যাগও করেছেন
|
কমিউনিস্ট পার্টি এএনসির আগেই নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে
|
এবং প্রায় একই সময় এএনসি ও কমিউনিস্ট পার্টি সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে (১৯৬১) সালে
|
তারা পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং যৌথভাবে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করেছিলেন
|
আদালতে দাঁড়িয়ে ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, "আমি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, আমার সংগ্রাম কৃষ্ণাঙ্গ আধিপত্যের বিরুদ্ধেও
|
আমি সযতেœ লালন করেছি একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজের ধারণাকে, যেখানে সমস্ত মানুষ থাকবেন একসঙ্গে, থাকবে সম্প্রীতি-সংহতি, সমান সুযোগ-সুবিধা
|
ম্যান্ডেলা যে গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য (এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য) ছিলেন, এই কথাটা তিনি সংগ্রাম চলাকালে গোপন করেছিলেন
|
প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গেছেন
|
তবে রিভোনিয়া মামলায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, "আজ আমি শ্রেণীহীন সমাজের প্রতি আকৃষ্ট
|
এবং এই আকর্ষণ জন্মেছে কিছুটা মার্কসবাদ পড়ে আর কিছুটা এসেছে এ দেশের প্রাচীন আফ্রিকান সমাজের কাঠামো ও সংগঠন প্রণালির প্রতি শ্রদ্ধাভাব থেকে
|
... এ কথা সত্য যে, আমি মার্কসবাদী ভাবধারা দ্বারা প্রভাবিত
|
২৭ বছর কারাবাসের পর মুক্তিলাভ করার পর সম্ভবত তিনি আর আনুষ্ঠানিকভাবে কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য ছিলেন না
|
কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যে তাঁর আন্তরিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং এএনসির যে দৃঢ় মৈত্রী ছিল, সে ঘটনা তো সবার জানা আছে
|
আজীবন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ম্যান্ডেলা
|
নেলসন ম্যান্ডেলা যে বর্ণবাদবিরোধী ছিলেন তাই-ই নয়, তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদবিরোধীও
|
কারণ তিনি তো মার্কসবাদ গ্রহণ করেছিলেন
|
তাছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে
|
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে সোভিয়েত-চীনসহ সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব
|
ষাট ও সত্তরের দশকে সমাজতান্ত্রিক শিবিরে বিভাজন সত্ত্বেও সকল সমাজতান্ত্রিক দেশই বর্ণবাদ উপনিবেশবাদবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি নৈতিক, রাজনৈতিক ও বস্তুগত (অস্ত্র ও অর্থ) সাহায্য অব্যাহত রেখেছিল
|
আফ্রিকা মহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ক্ষেত্রে কিউবার একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল
|
আফ্রিকার মুক্তি সংগ্রামে বিশেষ করে কঙ্গো ও এঙ্গোলায় কিউবা সরাসরি সৈন্য ও সশস্ত্র গেরিলা যোদ্ধা পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সপক্ষে
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.