content
stringlengths
0
129k
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দয়া ওরফে দয়ানন্দ শেট্টি নিজেই একথা জানিয়েছেন
তিনি বলেছেন, আগামী ২৭ তারিখ সিআইডির শেষ পর্ব দেখানো হবে
তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে এই শো'টি
এখন পর্যন্ত সিআইডির এপিসোড সংখ্যা ১,৫৪৬টি
১৯৯৭ সালের ২৯ এপ্রিল যাত্রা শুরে এই টিভি শো'টি
তারপরেই প্রবল জনপ্রিয়তা পায় সিআইডি
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী এই টিভি শো'টিতে অভিনয় করলেও সিরিজটির মূল চরিত্র এসিপি প্রদ্যুমনের চরিত্রে শিবাজী সত্যম, ইন্সপেক্টর অভিজিতের চরিত্রে আদিত্য শ্রীবাস্তব, দয়ার চরিত্রে দয়ানন্দ শেট্টি বরাবরই রয়ে গেছেন
সেই সাক্ষাৎকারে দয়ানন্দ জানিয়েছেন, ''শেষ এপিসোডের শুটিং ৪-৫ দিন আগেই হয়ে গেছে
তখনই আমাদের বলা হয় এটাই শেষ এপিসোড
সত্যি খবরটা জানার পরে থেকে আমাদের খুবই খারাপ লাগছে
সিআইডি ২২ বছরে পা দিতে চলেছিল
চ্যানেলের কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য সিআইডি বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে
দয়া বলেন, ''আমি আমার চরিত্রটিকে খুব মিস করব
আশা করি দর্শকদের এই কয়েক বছর আনন্দ দিতে পেরেছি
আমরা একটা গোটা পরিবারের মতো ছিলাম
আমরা এখানকার প্রত্যেককেই মিস করব
# বিনোদন
24, 2018
!
: বিনোদন
. .
আন্তর্জাতিক
তথ্য প্রযুক্তি
সাম্প্রতিক
চুলের যত্ন কোমল হোক!
'মাইল্ড শ্যাম্পু' শব্দটা এই পেজের কতোগুলো লেখায় অথবা ভিডিও কনটেন্টে পেয়েছেন বলুন তো
অনেক অনেক বার তাই না? চুলের যত্নে যেকোনো মাস্ক বা তেলের...
যখন ঘরে বসেই প্রফেশনাল ক্লিনিং সার্ভিস!
"চারদিন ধরে ছুটা খালা আসেনা কাজ করতে, বাসার কি যে অবস্থা! ফ্লোরে পা রাখা যায় না ধুলোবালির যন্ত্রণায়! তার উপর রাতে আসবে মেহমান! কি যে করি! রা...
অ্যাকটিভেটেড চারকোল/কার্বন ত্বকের যত্নে
চারকোল বা কয়লা কে না চেনে? দাঁত সাদা করার জন্য দাদি-নানিদের ছোটবেলায় দেখতাম কয়লা দিয়ে দাঁত মাজতে
কিন্তু আপনি জানেন কি কয়লা এখন সৌন্দর্যচর্চ...
আগামীর প্রযুক্তি দুনিয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের ৭ ভবিষ্যদ্বাণী
প্রযুক্তি দুনিয়া বেশ গোলমেলে হয়ে গেছে
স্মার্টফোন ডেস্কটপের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে
সোশাল মিডিয়া সার্চ ইঞ্জিনকে টেক্কা দিচ্ছে
অন-ডিমান্ট সেব...
জেনে নিন আপনার ডায়াবেটিস নির্ণয় পদ্ধতি
ডায়াবেটিস একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ
দেহের অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে অথবা উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে শরীর ব্যর্থ হলে যে রোগ হয় ...
(4) (7) (22) (43) (67) (96) (71) (1) (111) (29) (20) (44) (12) (94) (455) (254)
অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইতিহাস খেলাধুলা জীবনযাপন তথ্য প্রযুক্তি ধর্ম বিনোদন শিক্ষা স্বাস্থ্য
বিভাগ সমূহ
অন্যান্য আন্তর্জাতিক খেলাধুলা জীবনযাপন তথ্য প্রযুক্তি ধর্ম বিনোদন শিক্ষা স্বাস্থ্য
অন্যান্য (106) আন্তর্জাতিক (187) ইতিহাস (11) খেলাধুলা (187) জীবনযাপন (210) তথ্য প্রযুক্তি (204) ধর্ম (97) বিনোদন (167) শিক্ষা (68) স্বাস্থ্য (104)
সাম্প্রতিক খবর
চুলের যত্ন কোমল হোক!
'মাইল্ড শ্যাম্পু' শব্দটা এই পেজের কতোগুলো লেখায় অথবা ভিডিও কনটেন্টে পেয়েছেন বলুন তো
অনেক অনেক বার তাই না? চুলের যত্নে যেকোনো মাস্ক বা তেলের...
যখন ঘরে বসেই প্রফেশনাল ক্লিনিং সার্ভিস!
"চারদিন ধরে ছুটা খালা আসেনা কাজ করতে, বাসার কি যে অবস্থা! ফ্লোরে পা রাখা যায় না ধুলোবালির যন্ত্রণায়! তার উপর রাতে আসবে মেহমান! কি যে করি! রা...
অ্যাকটিভেটেড চারকোল/কার্বন ত্বকের যত্নে
চারকোল বা কয়লা কে না চেনে? দাঁত সাদা করার জন্য দাদি-নানিদের ছোটবেলায় দেখতাম কয়লা দিয়ে দাঁত মাজতে
কিন্তু আপনি জানেন কি কয়লা এখন সৌন্দর্যচর্চ...
আগামীর প্রযুক্তি দুনিয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের ৭ ভবিষ্যদ্বাণী
প্রযুক্তি দুনিয়া বেশ গোলমেলে হয়ে গেছে
স্মার্টফোন ডেস্কটপের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে
সোশাল মিডিয়া সার্চ ইঞ্জিনকে টেক্কা দিচ্ছে
অন-ডিমান্ট সেব...
জেনে নিন আপনার ডায়াবেটিস নির্ণয় পদ্ধতি
ডায়াবেটিস একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ
দেহের অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে অথবা উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে শরীর ব্যর্থ হলে যে রোগ হয় ...
বাঙালী নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা, লজ্জাই নারীর ভূষণ- এমন সব প্রবাদ আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত
এসব প্রবাদ কতখানি ঠিক? এসবের প্রচলনই বা কে করেছিল? তা আজ আর হয়তো জানা সম্ভব নয়
আসলেই কি নারীদের মুখ ফোটে না? লজ্জায় অবনত থাকে তাদের মস্তিষ্ক? তারা নিজের কথা কি আসলেই বলতে চায় না? প্রতিবাদ করতে চায় না বা তাদের প্রতিবাদের কোনোই ভাষা নেই? নাকি তাদেরকে বলতে দেয়া হয় না বা বলার মত অবস্থা তাদের থাকে না?
১৮১৯ সালে রাজা রামমোহন রায় বলেছিলেন, 'মহিলাদের মেধা বা বুদ্ধি আছে কিনা, পুরুষরা তার কোনো পরীক্ষা নেননি
তা সত্বেও মহিলাদের তাঁরা নির্বোধ বলে সাব্যস্ত করেন এবং মনে করেন যে, তাঁদের লেখাপড়া শেখার বা কোনো কথা বলার কোনো ক্ষমতা নেই
রাজা রামমোহন রায়ের কথার সত্যতা মিলে এর কিছু বছর পরেই, যখন বাংলা ভাষার প্রথম আত্মজীবনী রচয়িতার উদ্ভব হয় একজন নারীর মাঝে
উনিশ শতকের শুরুতে, ইংরেজি ১৮৭০ ও বাংলা সন ১২৭৫ সালে, বাংলা ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী কোনো পুরুষ লেখক নয়, বরং গ্রামের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত মহিলা লিখেছিলেন- তিনি রাসকুমারী দেবী
যে দেশে আত্মজীবনী লেখার কোনো রেওয়াজ ছিল না, সেই দেশের অজপাড়াগাঁর, যিনি সবেমাত্র লিখতে শিখেছেন, তিনি আত্মজীবনী লেখার ধারণা এবং উৎসাহ কোথায় এবং কিভাবে পেলেন? তার মানে কি এই নয় যে, নারীও তাঁর নিজের কথাটি বলতে চায়, জানাতে চায়?
বেগম রোকেয়া
১৮৬৩ সালে কৈলাসবাসিনী দেবী প্রবন্ধের বই বের করেন
এটাই কোনো বাঙ্গালি নারীর লেখা প্রথম প্রবন্ধের বই
তাঁর বইতে সেকালের বাঙ্গালি মহিলাদের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে তুলে ধরেন
এছাড়াও বৈধবের যন্ত্রণা ও বাল্যবিবাহের সমস্যা নিয়ে তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে জোর প্রতিবাদ জানান
যা কিনা সেই সময়ের হিসেবে অসীম সাহসিকতারই প্রমান পায়
১৯০৪ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে বেগম রোকেয়া লিখেছিলেন, "প্রবল সব বাধা আগ্রহ করে যখনই কোনো ভগ্নী মস্তক উত্তোলন করিয়াছে, অমনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন-রূপ অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে"
তিনি আরো বলেছেন, পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষরা কেবল গায়ের জোরে মেয়েদের বঞ্চিত করেছেন সকল ন্যায্য অধিকার থেকে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে
এ তো গেল লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করা ও সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
এছাড়াও সেই যুগে নারীরা আত্মহুতির মাধ্যমেও সমাজের অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন
এমনি একজন নারী 'নাঙ্গেলি'
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে কেরালার ত্রাভানকোর অঞ্চলে নাঙ্গেলি নামের অসম সাহসী, প্রতিবাদী নারী, মুলাক্করম কর আইন অগ্রাহ্য করে, স্তনকে আবৃত করেন
যেখানে বলা হয়েছিল, ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কোনো হিন্দু নারী তাদের স্তনকে কাপড় দ্বারা আবৃত করে রাখতে পারবে না
যদি আবৃত করে তবে কর প্রদান করতে হবে
নাঙ্গেলি এই কর দিতে অস্বীকৃতি জানান
কিন্তু শুল্কবিভাগের কর্মচারীরা জোরজবদস্তি করলে, নাঙ্গেলি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের দুটি স্তন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন এবং একটি কর্তিত স্তন কলাপাতায় মুড়ে শুল্ক সংগ্রাহকের হাতে তুলে দেন
এর কিছু পরে রক্তক্ষরণে নাঙ্গেলির মৃত্যু হয়
নাঙ্গেলির মত অতি সাধারণ, গ্রামের একজন নারী এতখানি সাহস কিভাবে অর্জন করলেন, তা আজও একটি বিস্ময়! মানুষের অধিকার আন্দোলনে, নারীর মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নাঙ্গেলির নাম অগ্রভাগে থাকা উচিৎ ছিল
কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়নি
কারণ, ইতিহাস রচয়িতারা অধিকাংশই পুরুষ কিনা!
নাঙ্গেলি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের দুটি স্তন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন এবং একটি কর্তিত স্তন কলাপাতায় মুড়ে শুল্ক সংগ্রাহকের হাতে তুলে দেন
আরেকজন বীর নারী কমলা ভট্টাচার্য, বিশ্বের একমাত্র 'মহিলা ভাষা-শহিদ'
১৯ মে, ১৯৬১, অসমের শিলচরের এগারো জন বাঙালি, মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য এবং মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্মগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন