content
stringlengths
0
129k
যা কঠিন এবং অসম্ভব
জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থমন্ত্রী বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন
অথচ প্রবাসীদের হিসেবে পরিচিত প্রতিটি দেশই করোনা আক্রান্ত হয়ে মন্দাকবলিত
তাছাড়া কর্মহীন প্রবাসীদের দেশে পুনর্বাসন ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই এ বাজেটে
মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটে পোশাক খাতের অস্থিরতা কাটানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি
৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে গার্মেন্টসগুলো ফিরে দাঁড়াতে পারে
কিন্তু এ সময়টুকু টিকে থাকার মতো সাপোর্ট তাদের দিতেই হবে
তা না হলে পোশাক খাত মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা রয়েছে
তবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে কেবলমাত্র গার্মেন্টস খাতের ওপর ভরসা করলে চলবে না
আমাদের অর্থনীতিকে ডাইভার্সিফাই করতে হবে
কিন্তু সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই
তিনি বলেন, জাতি আশা করেছিল এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে
কিন্তু সবাইকে হতাশ করে অর্থমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেন
এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলেও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হলো জিডিপির মাত্র ১.৩% মাত্র
অথচ স্বাস্থ্য খাতে আমরা জিডিপির ৫% বরাদ্দের প্রস্তাব করেছিলাম
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর চেয়ে অধিক অর্থ করতে পারবে না এমন খোঁড়া যুক্তিতে স্বাস্থ্য খাতে অধিক বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে বলা হয়েছে
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করাই ছিল প্রত্যাশিত
স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ ভাগ বরাদ্দ দেয়া দরকার ছিল
কিন্তু জিডিপির মাত্র ১.৩ ভাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে
অথচ স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে
মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, চিকিৎসার জন্য মানুষ ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
তিনি বলেন, সারা দেশে আইসিইউ সম্বলিত কোনো অ্যাম্বুলেন্স নাই
অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই
এজন্য স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ আরও অনেক বেশি দেয়ার দরকার ছিল
প্রস্তাবিত বাজেটকে সাদামাটা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব দাবি করে বলেন, বাজেটে মানুষের জীবন ও জীবিকার যে বিষয়টা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিল তার কোনোটিই করেনি, যা করেছে তা তাদের কমিশনের বিষয়টি সামনে নিয়েই করেছে
সরকারের লক্ষ্য একটাই কী করে তাদের লোকগুলোকে তুষ্ট করবে, কী করে তাদের লোকজনের পকেট ভারী করবে
:
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..
ছয় ঘণ্টা নয়, বুলেট ট্রেনে ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম-ঢাকা!
লাক্কাতুরায় টিউবওয়েল থেকে ২৪ ঘন্টাই বের হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি
ময়মনসিংহে পৃথক সড়কে নিহত ৩
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য
মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আজ সারাদেশে একযোগে ৬,৯১২টি বিটে "নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ"
"সিলেটে নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার"
. *
, , .
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ
খুলনা বিভাগে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু : শনাক্ত ১২৪ জন
কক্সবাজার সমুদ্র বুকে প্রথম রানওয়ে: দেশে প্রথম
টেকনাফের চাঞ্চল্যকর ইসমত আরা হত্যাকান্ডের মামলা এখন হিমাগারে
দীর্ঘ ৮০ বছর পর চন্দনাইশ মকবুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অভিভাবক নির্বাচন সম্পন্ন হয়,
নিখোঁজ_সংবাদ....
টেকনাফে ২লাখ ৫০হাজার পিস ইয়াবাসহ ট্রলার জব্দ
ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোস্তাক অনুসারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী
ধুনটে গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
কক্সবাজারে 'ওসির ভাব নিয়ে' মামলা তদন্ত করেন এসআইয়ের স্বামী!
বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি-২০২১ইং
আন্তর্জাতিক
প্রধান নিউজ
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব লায়ন এ.টি.এম আমিরুল গনি খোকন
অফিস: ৩৭/২,জামান টাওয়ার , পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০০ মোবাইল: 01749190088 ইমেইল: @.
. .
.
পৃথিবীর সমগ্র মহিলাদের নিমিত্ত প্রার্থনা করার জন্য আপনিও টি ডাবলু আর এর আশাময়ী নারী দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন
আশাময়ী নারী প্রার্থনা ক্যালেন্ডার ৯৪টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়
এবং প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই একই প্রার্থনার বিষয় গুলি নিয়ে প্রার্থনা করে
--- বিভাগ বিভাগ পর্যায়ের সরকারি অফিস জেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস উপজেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস আঞ্চলিক অফিসসমূহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ
সরকারি অন্যান্য পোর্টাল দেখুন
বিভাগ বিভাগ পর্যায়ের সরকারি অফিস জেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস উপজেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস আঞ্চলিক অফিসসমূহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ
বেসরকারি সংস্থা সেড আয়োজিত 'মধুপুর ও লাউয়াছড়া : বিপন্ন বন, বিপন্ন ঐতিহ্য' শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী গোলটেবিল বৈঠকের (২১-২৭ জুন) আগের দিন টিভিতে একটি সংবাদ শুনে বিষাদে আক্রান্ত হই
লন্ডনের একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের লোনাজলে তলিয়ে যাবে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও সমুদ্রপৃষ্ঠ উত্থানের সম্ভাব্য ফলাফল ইদানীংকার বহুল আলোচিত প্রসঙ্গ
এই শতকের শুরুর দিকে মস্কো থাকার সুবাদে সেখানকার পত্রিকায় এ ধরনের কিছু প্রবন্ধ পাঠের সুযোগ জোটে এবং জানতে পারি, পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির হেতু তাপবর্ধক গ্যাস (কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরো ফোরো কার্বন ইত্যাদি) নয়, বিশেষ প্রাকৃতিক নিয়ম, যা লাখ লাখ বছরে একটি চক্রে আবর্তিত হয়
তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এরই ওজর দেখিয়ে ওইসব গ্যাস-উদ্গিরণ কমাতে অস্বীকার করেন
কিন্তু বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের প্রতিবাদের তোড়ে তত্ত্বটি এক সময় আড়লে পড়ে যায় এবং দেশ দুটি শেষপর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা সুস্থিতকরণের উদ্যোগের শরিকানায় সম্মত হয়
তবু ভারাক্রান্ত মন নিয়েই সেড-এর গোলটেবিল বৈঠকে ঢুকি এবং অচিরেই মন খারাপ করার মতো আরও নানা উপাত্তের অস্তিত্ব টের পাই
জনৈক অধ্যাপক, যিনি ১৬ বছর লাউয়াছড়া নিয়ে গবেষণা করেছেন, জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই বাংলাদেশের সম্ভাব্য তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে রেখেছে এবং সেগুলোর প্রত্যক্ষ জরিপ ও খননকাজে সহায়তার জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের কয়েকটি পেটোয়া দল গড়ে তুলেছে
সেড-এর প্রধান ফিলিপ গাইন কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার নাম উল্লেখ করে বলেন যে এগুলো মার্কিন প্রভাবিত দাতা সংস্থা, বহুজাতিক কোম্পানি, এমনকি খোদ শেভরনেরও সাহায্যপুষ্ট
আমি দারুণ ধন্দে পড়ে যাই
প্রথমত, ওইসব পরিবেশবাদী সংস্থার কোনো কোনোটিতে আমারও যাতায়াত আছে, অনেককে চিনি, কেউ আমার প্রাক্তন ছাত্র, কেউ বা কনিষ্ঠ বন্ধু
তারা সজ্ঞানে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত - এমনটি ভাবতে পারি না
দ্বিতীয়ত, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ অতি ক্ষুদ্র, জনসংখ্যাপীড়িত দরিদ্র একটি দেশ, যার সামান্য সম্পদের ওপরও ধনকুবের পরাশক্তির নজরদারি আছে এবং এর নিয়ন্ত্রণ কব্জায় রাখতে তারা সচেষ্ট
অর্থনীতি ও বাণিজ্যে মানবিকতার প্রসঙ্গ বস্তুত ভাবালুতারই নামান্তর
দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কার্ল পপার এগুলোকে 'অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' বলেছেন
প্রক্রিয়াটি প্রাকৃতিক নিয়মের মতোই অমোঘ ও নির্মম
অতঃপর আরও দুটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন - আমরা কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উন্নত বিশ্বের সর্বগ্রাসী প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারি? আর খনিজ আহরণ ও শিল্পের প্রসার কি প্রকৃতি ধ্বংস ও আবহদূষণ এড়িয়ে সম্ভব? দুটিই বহুল আলোচিত প্রসঙ্গ এবং সমাধানের সুপারিশগুলোর অধিকাংশই ইউটোপিয়াপুষ্ট অথবা দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির উপকরণ
এমন প্রস্তাব খুব অযৌক্তিক নয় যে মার্কসের বস্তুবাদী ঐতিহাসিকতার সূত্র এ ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনায় কিছুটা সহায়তা দিতে পারে
এই তত্ত্বানুসারে উৎপাদিকা শক্তির বিকাশ একটি বিশেষ স্তরে পৌঁছালে বিদ্যমান সমাজকাঠামোর সঙ্গে তা সংঘাতে লিপ্ত হয় এবং পুরোনোর উৎখাতের মাধ্যমে নতুন সমাজের জন্ম লাভ ঘটায়
এভাবেই আদিম সাম্যবাদী সমাজ থেকে সামন্ততন্ত্র এবং সামন্ততন্ত্র থেকে ধনতন্ত্রের উদ্ভব ঘটেছে; এবং ধনতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্রের উদ্ভব ঘটবে এবং মানবসভ্যতা একদিন কমিউনিজমে পৌঁছাবে
সমাজবিবর্তনের এই ধারায় কোনো সমাজ-সংস্থাকেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না, ধনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব হবে না
বলা যেতে পারে, আজকের বিশ্বপুঁজিবাদের যে সংকট, তা উৎপাদিকা শক্তির ব্যাপক বৃদ্ধির ফল এবং তা ঘটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অভূতপূর্ব উন্নতির দৌলতে
বিশ্বের পরাশক্তি এই সংকট উত্তরণে অপারগ, তারা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বদলে পুরোনো পদ্ধতিতে সমাধান খুঁজছে, বিশ্বায়নের স্বপ্ন দেখছে
উন্নয়নশীল বিশ্বের ওপর আগ্রাসন বাড়ছে; এ থেকে বাংলাদেশও রেহাই পাচ্ছে না
এই পরিস্থিতির রাজনৈতিক চেহারা ভয়াবহ
তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আন্তঃসংঘর্ষে জড়ানোর উস্কানি বাড়াচ্ছে, কোথাও কোথাও নিজেও জড়িয়ে পড়ছে
কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে কি?
খনিজ আহরণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হলো বৃহৎ একটি সমস্যার খণ্ডাংশ মাত্র
ধরা যাক, লাউয়াছড়ায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেল এবং খনিটি বনের মধ্যে রাখাও জরুরি বিবেচিত হলো
তখন কী হবে? উল্লুক ও কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছপালা রক্ষার জন্য গ্যাস বর্জনের পক্ষে কি কোনো জনসমর্থন মিলবে? মিলবে না
মানুষ ভোগী জীব, আশু লাভেই অধিকতর আকৃষ্ট
'ডিপ ইকোলজি' মানুষ ও প্রকৃতির মিথোজীবিতামূলক যে সভ্যতার স্বপ্ন দেখে তা এখনও ইউটোপিয়া-সম
তবু এটা দুর্লক্ষ্য নয় যে পুঁজিবাদ-উত্তর সম্ভাব্য সমাজকাঠামো ও ইকোলজি-ভাবনা কোথায় যেন মিশে আছে, যেখানে অর্থনীতি ও ইকোলজির সুষম সংশ্লেষ ঘটবে; মানুষ যুগ-যুগান্ত ধরে যে ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখেছে, তা সত্য হয়ে উঠবে
[প্রথম প্রকাশ : প্রথম আলো, ২০ জুলাই ২০০৮, ৫ শ্রাবণ ১৪১৫]