content
stringlengths
0
129k
আসুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিশ্বের যেকোন মানুষের অবস্থান জেনে নেই !!!! -
শুনেই মনে হয় মাথা খারাপ হয়ে গেল, তাই না ? একদিন আমার ইচ্ছা হলো ইন্টারনেটের মহাসমুদ্রে এমন কিছু পাওয়া যাই কিনা যেখানে মানুষের মোবাইল নাম্বার জানা থাকলে সেটা ব্যবহার করে মানুষটির অবস্থান জানা যায় কিনা
যেই চিন্তা সেই কাজ
শুরু করে দিলাম সার্চিং
এক পর্যায়ে পেয়ে গেলাম একটা সাইট যেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই সার্ভিস পাওয়া যায়
আমি প্রথমে নিজের নাম্বার দিয়ে সার্চ করলাম
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের বরাদ্দ আওতাধীন ঢাকাস্থ বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী বাসা/কক্ষের বরাদ্দ যোগ্যতা ও ভাড়া পুনঃনির্ধারণ প্রসঙ্গে
(১৯/১২/২০১৮)
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের বরাদ্দ আওতাধীন ঢাকাস্থ বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী বাসা/কক্ষের বরাদ্দ যোগ্যতা ও ভাড়া পুনঃনির্ধারণ প্রসঙ্গে
(০৯/০৮/২০১০)
���������������-������������-������������������-���������������������-���������������-���������������������������������������
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
কারা অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মেনু নির্বাচন করুন
আমাদের বিষয়ে
এক নজরে বাংলাদেশ জেল
ভিশন ও মিশন
প্রাক্তন কারা মহাপরিদর্শকগণ
কর্মকর্তাবৃন্দ
সাংগঠনিক কাঠামো
পরিপত্র/নির্দেশনা/প্রয়োজনীয় সার্কুলার
বন্দি ভর্তি
ওকালতনামা স্বাক্ষর
নিরাপদ হেফাজতি ও শিশু
আদালতে হাজিরা
বন্দি স্থানান্তর
অনূর্ধ্ব ৬ বছর বয়সী শিশু
সিটিজেন চার্টার
সিটিজেন চার্টার (বাংলা)
স্থিরচিত্র
ঢাকা বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগ
সিলেট বিভাগ
খুলনা বিভাগ
রংপুর বিভাগ
বরিশাল বিভাগ
ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রকল্প তথ্য
কারা আবাসন প্রকল্পে প্লট গ্রহীতাদের তালিকা
কারাগারে চলমান প্রকল্পসমূহ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ফরম ও ফলাফল
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
জাতীয় কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশন তারিখ : 2014-12-29
জাতীয় কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারারক্ষীদের কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে
দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কারাগারের ভেতর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে কারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় কারা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন
তিনি আরো বলেন, বন্দিদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদ আটক ও তাদের প্রতি মানবিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কারারক্ষীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে
অপরাধীদের নিরাপদে আটক রাখার মাধ্যমে সমাজে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে কারারক্ষীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন
বন্দিদের সঙ্গে কারা প্রশাসনের ও কারারক্ষীদের আচরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা কারা প্রশাসন পরিচালনা করছি
তাই আমাদের সরকার সবসময় কারাগারের পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৩ বছরেও কারা কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেনি
কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি এবং ঢাকায় একটি কারা স্টাফ কলেজ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনেক কারাগারের সংস্কার এবং নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে
আগামী জুনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে
আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা খালি হলে সেখানে উন্নত মানের স্কুল-কলেজ করা হবে
এর আগে কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এ সময় তিনি প্যারেড মাঠ পরিদর্শণ ও সশ্রস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়
অর্থনীতি অ্যান্টার্কটিকার ভূগোল আইন ইতিহাস খাদ্য ও পানীয় গণমাধ্যম গণিত ঘটনাবলী জ্ঞানের শাখা দর্শন ধারণা নীতি নীতিশাস্ত্র প্রকৃতি প্রকৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনোদন বিশ্ব ব্যক্তি ব্যবসা ভূগোল মহাবিশ্ব মহাবিশ্বতত্ত্ব মানববিদ্যা মূল বিষয়ের নিবন্ধসমূহ রাজনীতি শক্তি শিক্ষা শিল্পকলা সংস্কৃতি সত্তা সমাজ সরকার সৃজনশীলতা স্বাস্থ্য
i বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাজনৈতিক দল
এ পার্টি অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির উত্তরাধিকার বহন করে
ভারত বিভাজনেপর ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ এ দল পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়
সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্যকে সামনে রেখে জন্মলগ্ন থেকেই এ পার্টি আপোষহীনভাবে অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ পার্টির বীরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে
ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রায় ১৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন
এ পার্টির কিংবদন্তি নেতা কমরেড মণি সিংহ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন
1. গঠনের ইতিহাস
১৯৪৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুসারে কংগ্রেসে আগত পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা স্বতন্ত্রভাবে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন
এই কমিটিতে ছিলেন সাজ্জাদ জহির, খোকা রায়, নেপাল নাগ, জামাল উদ্দিন বুখারি, আতা মোহাম্মদ, মণি সিংহ, কৃষ্ণবিনোদ রায় ও মনসুর হাবিবউল্ল্যা
সাজ্জাদ জহির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন
পাকিস্তানের পার্টি দুর্বল বিধায় এই পার্টিকে পরিচালনা করার জন্য সিপিআইয়ের পক্ষ থেকে ভবানী সেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়
পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি বা পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি ছিলো কলকাতায় অনুষ্ঠিত সিপিআইয়ের দ্বিতীয় কংগ্রেসে গৃহীত রাজনীতিই
আলাদাভাবে বিশেষ কোনো রণনীতি বা রণকৌশল গ্রহণ করা হয়নি
নবগঠিত পাকিস্তানে শ্লোগান তোলা হয়, ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়, লাখো ইনসান ভুখা হ্যায়, সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তুলে এই সরকার হঠাও
2. পার্টির কংগ্রেসসমূহ
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অংশ হিসাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরপরই পার্টির বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির অধীনে পূর্ববঙ্গে নববগঠিত পূর্ব পাকিস্তান কাজকর্ম পরিচালনার জন্য একটি আঞ্চলিক কমিটি জোনাল কমিটি গঠন করা হয়
এই জোনাল কমিটিই ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে
১৯৪৭ সালে গঠিত জোনাল কমিটির নেতারা ছিলেন-
১. খোকা রায় সুধীন রায়- সম্পাদক, তিনি আগে থেকেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সম্পাদকম-লীর সদস্য, ২. মণি সিংহ, ৩. নেপাল নাগ, ৪. ফনী গুহ, ৫. শেখ রওশন আলী, ৬. মুনীর চৌধুরী, ৭. চিত্তরঞ্জন দাস
১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে পাকিস্তানের জন্য পার্টির পৃথক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়
কংগ্রেসে সমবেত প্রতিনিধিদের মধ্যে যারা পাকিস্তান ভূ-খণ্ডের অধিবাসী, ওই ভূ-খণ্ডের পার্টির কাজে নিয়োজিত থাকবেন এবং আরো ২/৪ জন আমন্ত্রিত প্রতিনিধি ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ পৃথকভাবে সভায় মিলিত হন
সেখানেই পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করা হয় এবং সেই পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত করা হয়
এ কমিটি নেতারা হলেন
১. সাজ্জাদ জহির- সাধারণ সম্পাদক এবং পলিটব্যুরোর সদস্য, ২. খোকা রায় পলিটব্যুরোর সদস্য, ৩. কৃষ্ণ বিনোদ রায় পলিটব্যুরোর সদস্য, ৪. মণি সিংহ, ৫. নেপাল নাগ, ৬. মনসুর হাবিব, ৭. জামালউদ্দিন বুখারী, ৮. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ৯. মোহাম্মদ আতা
১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রতিনিধিদের বৈঠকে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি গঠন এবং তার কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করার সঙ্গে সঙ্গে পার্টির পূর্ববঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিটি গঠন করা হয়
সেই কমিটির নেতারা হলেন
১. খোকা রায়- সম্পাদক, ২. মণি সিংহ, ৩. নেপাল নাগ, ৪. বারীন দত্ত, ৫. মনসুর হাবিব, ৬. কৃষ্ণ বিনোদ রায়, ৭. ফনী গুহ, ৮. প্রমথ ভৌমিক, ৯. অবনী বাগচী, ১০. মুকুল সেন, ১১. মারুফ হোসেন, ১২. পূর্ণেন্দু দস্তিদার, ১৩. ইয়াকুব মিয়া, ১৪. আব্দুল কাদের চৌধুরী, ১৫. অমূল্য লাহিড়ী
১৯৪৮-৫০ সালের মধ্যে পূর্ববঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান একাধিক স্বল্পকালীন অস্থায়ী প্রাদেশিক কমিটি গঠন করা হয়
স্বল্পকালীন এসব অস্থায়ী প্রাদেশিক কমিটিতে এক সময় শেখ রওশন আলী, আরেক সময় আলতাব আলী, ১৯৫০ সালে নেপাল নাগ প্রমুখকে সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে প্রাদেশিক কমিটি কয়েকবার পুনঃগঠিত করা হয়
এর মূল কারণ হলো, এ সময় পার্টির বামহঠকারী লাইনের প্রতিফলন ঘটিয়ে পার্টির সর্বস্তরের কমিটিতে পরিবর্তন সাধন করা হয়
এক্ষেত্রে 'বাম হঠকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে' ইত্যাদি নানা ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়
বাম-হঠকারী লাইন থেকে পরে আবার 'হঠকারীবাদীদের দিয়ে কমিটি করতে হবে', 'পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে এ ধরনের কমরেডদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে হবে'- ইত্যাদি ফর্মুলাগুলো সে সময় অনুসরণ করা হয়