content
stringlengths
0
129k
অতি সামান্য খাবার খেলাম
পুঁই শাক, ডাল আর ভাত
বিল হওয়ার কথা ৫০/৬০ টাকা
অথচ বিল হয়েছে- ১২০ টাকা
আহামরি কোনো রেস্টুরেন্ট নয়
খাবারের মানও ভালো নয়
ভাতের চাল গুলো মোটামোটা
এই হোটেলে আমি আরেকদিন খেয়েছি- রুই মাছ, ডাল আর ভাত
বিল হয়েছে ২৪০ টাকা
অতি সাধারণ খাবার
কোনো স্বাদ নেই
এক টুকরো রুই মাছ
সাথে কোনো তরকারী ছিলো না
সামান্য এক টুকরো আলুও ছিলো না
রেস্টুরেন্টওলারা সামান্য খাবারের এত দাম রাখছে কেন? রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কি কোনো নিয়ম নীতি নেই? যা ইচ্ছা তাই-ই দাম রাখতে পারে? সবচেয়ে বড় কথা বেশী দাম দিয়েই লোকজন খাচ্ছে
দাম নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই
গতকাল সন্ধ্যায় বাটা জুতোর দোকানে গিয়েছিলাম
বাটার দোকানে বড় করে লেখা বিরাট মূল্য হ্রাস
৭০% ডিসকাউন্ট
কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি- ডিসকাউন্ট না দিলেও যে দাম জুতোর গায়ে লেখা থাকে, ডিসকাউন্ট দেওয়ার পরও একই দাম লেখা
বাটা কোম্পানীর এরকম প্রতারনা করার কারন কি? এপেক্সও একই কাহিনী! ডিসকাউন্ট দেওয়া একটা জুতো হাতে নিলাম
তাতে দাম লেখা ৩৯০০ টাকা
জুতোর কোয়ালিটি দেখে মনে হলো- এই জুতোর সর্ব্বোচ দাম হতে পারে ৩০০ শ' টাকা
তাহলে এত দাম কেন জুতোর? অথবা ডিসকাউন্ট বলার কি আছে? ব্যবসা মানেই কি প্রতারনা? যা কিছু কিনতে যাই- দোকানদাররা ঠকাতে চায়
যেন আমাকে ঠকাতে পারলেই তাদের ব্যবসা সার্থক
প্রতিটা ব্যবসায়ীর মধ্যে এক এরকম চিন্তা ভাবনা
সৎ ব্যবসায়ী বাংলাদেশে নেই
আমি রেডিমেট জামা কাপড় পড়ি না
শার্ট প্যান্ট বানিয়ে পড়ি
বছরে তিনবার আমি অনেক গুলো করে শার্ট প্যান্ট বানাই
কাপড়ের দাম রাখে বেশি
তিন শ' টাকা শার্ট পিছের দাম চায় সাড়ে তিন হাজার টাকা
আবার টেইলার্সে শার্ট প্যান্ট বানাতে গেলেও মুজুরি রাখে অনেক বেশি
একটা শার্ট বানাতে ওদের সর্ব্বোচ আশি টাকা খরচ হয়
অথচ নিচ্ছে ৪৫০ টাকা
একটা প্যান্ট বানাতে ওদের খরচ হয় সব্বোর্চ নব্বই টাকা খরচ অথচ নিচ্ছে ৫৫০ টাকা
কেউ সঠিক দাম নিচ্ছে না
বাংলাদেশটা এরকম হয়ে গেছে- যার যা মন চাইছে, করছে
কোনো জবাবদিহিতা নেই
সরকারের কোনো তদারকি নেই
সরকার ব্যস্ত পরিমনিকে
অথচ বড় বড় রাঘববোয়াল দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদের ধরছে না
সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না
বাংলাদেশ হলো দুষ্টলোকদের দেশ
আমি দুষ্টলোক নই
আমি অতি সাধারণ এবং সহজ সরল মানুষ
এই দেশে আমি আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না
এটা আমি বুঝে গেছি
এই দেশের প্রতিটা নাগরিক মনে করে কাউকে ঠকাতে পারলেই বুঝি জিতে গেলো
যারা নামাজ পড়ে, মুখ ভরতি দাঁড়ি রাখে- তারাও মানুষ ঠকায়
আমাদের এক আত্মীয় আছে
ব্যবসা করেন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন
নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসে গেছে
অথচ এই লোক ভয়াবহ ভন্ড এবং মিথ্যাবাদী
তার দোকানে সব সময় নকল মাল বিক্রি করা হয়
তিনি তার কাস্টমারদের বলেন- এই নিন ভালো জিনিস
আমি মিথ্যা বলি না
মাত্রই আমি নামাজ পড়ে এলাম
তাকে মানুষ বিশ্বাস করে নকল পণ্য কিনে বাসায় যায়
প্রতিদিন একই ঘটনা
তিনি গর্ব করেন মানুষকে বোকা বানাতে পারেন বলে
২৬ টি +৫/-০
মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: দ্রব্য মুল্য নির্ধারন করার একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ঠিক ঠাক মতো কাজ করে না
সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান ঠিক কাজটি করে না
কেবল ঘুষ নেয়ার হিসাব টা ঠিক রাখে
কম দিলে নেয় না
জনগন মোটেই সচেতন না
যে যা দাম চায় তাই দিয়ে চলে আসে,কোন প্রতিবাদ করে না
কেউ স্ব প্রনোদিত হয়ে সংগঠিতো করে না এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাদা আমেরিকান, জারমান ও সুইডিশরা মানুষকে ভালো জিনিষ দেয় ও দাম কমাতে চেষ্টা করে; বাকীরা জালিয়াত
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষদের আগে ''মানুষ'' হয়ে উঠতে হবে
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
গত সপ্তাহে আইসক্রিম কিনলাম ডিসকাউন্টে: ১ টার আসল দাম ৬ ডলার, ডিসকাউন্টে ৪ ডলার করে; আমি ৩ টা নিয়েছি; ক্যাশিয়ার সাদা মহিলা, আমি কথা বললাম; কর্মচারী হিসেবে তার ডিকাউন্ট কার্ড আছে; সে সেটা ব্যবহার করে দাম কমিয়ে ৩টা দিলো ৬ ডলারে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে ভালো মানুষ নেই
সমস্যা এইখানেই
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: এসব বলে কি লাভ? কে আন্দোলন করবে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আন্দোলন করা দরকার
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকা বা অন্য কোনো দূর দেশের উদাহরণের প্রয়োজন নেই
পাশের দুটি দেশেই (ভারত ও মিয়ানমার) আপনি খাওয়ার ও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি অনেক সস্তায় পাবেন
সাগর দত্ত,তজুমদ্দিন,ভোলা: নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে
শনিবার এ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুরা
আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে
তজুমদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা আজ চতুর্থ দিনের বিক্ষোভ করেন
তাদের আন্দোলনের কারণে সেবা বন্ধ থাকায় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে
বক্তারা বলেন, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করে অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে