content
stringlengths
0
129k
আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমার বাবা আর এই বাড়িতে নেই
তিনি বলেন, ঘটনার দিন বাবা পাশের বাড়িতে একটা দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরেন
এরপর আমরা সেখানে খেতে যাই
তখন বাড়ির পাশে রাস্তার ওপরে বাবাকে খুব চিন্তিত মনে হয়
হঠাৎ শুনলাম আমাদের বাড়ির সামনের মূল রাস্তার হাকিমের মোড়ে কারা যেন মারধর করছে
তখন বাবার ফোনে একটা কল আসে
বাবা সেই ফোন পেয়ে চলে যান
এরপর আমার বাবা আর জীবিত হয়ে ফেরেননি
গলাকাটা অবস্থায় আমার বাবাকে এলাকাবাসী হাকিমের মোড় থেকে উদ্ধার করে
সবুর মোল্লার ভাতিজা মাহফুজ ইয়াসিন বলেন- নজরুল মেম্বার কয়েকবার মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন
তার স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে গিয়েছিল
তাই আমরা এর প্রতিবাদ করতাম
এতে তিনি আমাদের ভালো চোখে দেখেননি
নজরুল মেম্বার আগে বিএনপি করতেন
২০১২ সালেও তিনি জগদল ইউনিয়নের বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন
পরে নিজের দল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মিশে যান
স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল হাসানের অন্যতম শক্তি এই নজরুল
নজরুল ছাড়া চেযারম্যানের কোন ক্ষমতা নেই
তিনি আরও বলেন, এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাদের এলাকার ভোটার টানতে আমার চাচা সবুর মোল্লা মাতবরকে বলা হয়
আমার চাচা শান্তি চান তাই তাদের অন্যায় সহ্য করেও কিছু বলেননি
এতে নির্বাচনের খরচ যোগাতে আমার দুই চাচা অর্থাৎ নিহত সবুর ও কবির মোল্লাকে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন নজরুল মেম্বার
তা দিতে না পারায় তারা আরও ক্ষেপে যান
এই নিয়ে এলাকায় কয়েকদফা সালিশ বৈঠক হয়
এতে চেয়ারম্যান তাদের পক্ষ নেন
সবুর মোল্লার ভাস্তি মোছা: মুরশিদা বলেন, ২০০৩ সালে আমার বাবা জরিপ মোল্লাকে বাড়ির সামনে ভোরবেলা ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেন এই নজরুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী
সবুর মোল্লা ও কবির মোল্লার আপন ভাই জরিপ মোল্লা
তিনি বলেন, সেই ঘটনায় নজরুল মেম্বারকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়
সেই মামলার সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং নজরুল তখন মেম্বারসহ ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক থাকায় মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করেন
তাই বাবার হত্যার বিচার আমরা আপসের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলি
যদিও এটাতে গোষ্ঠীর একটা বড় অংশের সম্মতি ছিল না
সবুর মোল্লার স্ত্রী মিলিনা খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী এলাকায় সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন সালিশ বিচার করতেন
সবাই সম্মান করতেন
এটাতে তার জনপ্রিয়তা ছিল
এজন্য বহু মানুষ আমাদের কথামতো চলতো
তাই ভোটের সময় এলে নজরুল মেম্বার আমাদের তাকে সমর্থন দিতে বলতেন
কিন্তু তারা চাঁদা দাবি করে এবার
গতবারও তারা নির্বাচনের আগে চাঁদা নিয়েছিল
না দেয়ার জন্য তারা এই খুন করলো
সেই খূনের সঙ্গে জড়িত এই নজরুল মেম্বার
সে ১৮ বছর আগেও আমার স্বামীর অপর ভাই জরিপ মোল্লাকে কুপিয়ে খুন করে
একই ঘটনায় এবার আমার স্বামী সহ তার আপন ভাই ও চাচাত ভাইকে আমরা হারালাম
ওদের সবার আমি ফাঁসি চাই
এদিকে গ্রামের অনেককেই বাড়ির মাল সামানা ভ্যানে নিয়ে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে
জগদল ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান,দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত
সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
তাই নিজেদের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এটা হতে পারে
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সেটা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে'
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম (ওসি) বলেন, আমরা এই খুনের ঘটনাটি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখছি
গতকালের পর থেকে এই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে
এলাকায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে
মামলা হলে সে মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেবো
আপনার মতামত দিন
এক্সক্লুসিভ অন্যান্য খবর
মালদ্বীপের পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার প্রসার ঘটবে সাংবাদিকদের সফরে
৭ ডিসেম্বর ২০২১
লেডিস সার্কেলের আয়োজনে সুইড বাংলাদেশে দিনভর প্রতিবন্ধী শিশুদের আর্ট কনটেস্ট ও সাংস্কৃতিক আয়োজন
৬ ডিসেম্বর ২০২১
সিলেটে রায়হান হত্যা
নতুন অভিযোগ সালমা বেগমের
৬ ডিসেম্বর ২০২১
সুখী দেশের গোপন কথা
৬ ডিসেম্বর ২০২১
মাদক ব্যবসায় কোটিপতি
৬ ডিসেম্বর ২০২১
খুদে বিজ্ঞানী শাওনের তেলবিহীন হোভারক্রাফট আবিষ্কার
৬ ডিসেম্বর ২০২১
১৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দেবো: আইভী
৫ ডিসেম্বর ২০২১
নিখোঁজের ১ দিন পরে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
৫ ডিসেম্বর ২০২১
শুক্রবার বিকালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের নদমুলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্ত হাওলাদার ...
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুর মাথা কেটে মিছিল করে এ কেমন উৎসব করছে ওরা? 'গাজন বা চড়ক' নামে এটিকে লোকাচার বা লোকসংস্কৃতি বলা হয়
পৃথিবীতে এখন এই যুগেও ঘটে থাকে সব লোমহর্ষক ঘটনা
যেসব কাহিনী শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে
এমনই একটি কাহিনী সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি গ্রামে শিবের গাজন পালনের লোমহর্ষক এই বর্ণনা দিয়েছেন সে দেশের এক লেখক শান্তনু গাঙ্গুলি
সেই লেখাটি প্রকাশ করা হলো
প্রকৃতপক্ষে 'গাজন বা চড়ক' একটি লোকাচার বা লোকসংস্কৃতি
এরমূল কথা হলো, জগৎ-সংসারকে ভোগ করতে হলে ত্যাগের মাধ্যমেই তার রসাস্বাদন করতে হয়
তাই প্রাচীনকাল হতেই বাঙালিরা ফাগুন দিনের ফাল্গুনী রচনা করে রাধাকৃষ্ণকে সাক্ষী রেখে চৈত্রমাসে শিবের সাধনা করেন
স্থান কাল ভেদে কেও বলতো শিবের গাজন, আবার কেও বলতো নীলের গাজন
প্রকাশ্যে মেয়েদের গণধর্ষণ করাই নাকি 'উৎসব'! এই যুগেও এমন...
১০ হাজার কুকুর বলি দিয়ে উৎসব পালন করছে চীন!
হাল্কা আর সুগন্ধি ধুনোর ধোঁয়া, তারমধ্যেই দেখা গেলো একটা লোক গাছ হতে একটা নোংরা চটের বস্তা নামিয়ে আনছে
প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করে রয়েছে
কাছে যেতে একটা তীব্র দুর্গন্ধ
বস্তা হতে বেরোল কয়েক দিন আগে মারা যাওয়া 'মানুষ'-এর পচাগলা দেহ ও দেহাংশ; বিশেষত কাটা মাথা
একটা শিশুর মৃতদেহও বার করা হলো; মাংস গলে-গলে পড়ছে
ওই দেহ এবং দেহাংশ দড়িতে বেঁধে গোটা গ্রামে উল্লাস করতে-করতে ঘুরবে কিছু মানুষ! এরা নাকি পুণ্যলোভী মানুষ
আবার এদেরকে বলা হয় 'সন্ন্যাসী'
এটি আসলে হিন্দু ধর্মীয় একটি আচার-আচরণ
চৈত্র সংক্রান্তি' অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিন পালিত হয়ে থাকে এই শিবের গাজন উৎসব
শিবের গাজন অনেক জায়গাতেই হয়
কিন্তু বর্ধমান কুড়মুন গ্রামের গাজন একটু অন্যরকমভাবে পালিত হয়ে থাকে
একইভাবে হয় পার্শ্ববর্তী পলাশী' নাসিগ্রাম' ভাণ্ডারডিহিসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামে
কিন্ত ভয়াবহতার দিক হতে কুড়মুন এদের সবগুলোকে ছাপিয়ে যায়
আর তাই কুড়মুনের গাজন সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত (কুখ্যাত বলাই ভালো)
এটি আসলে পৈশাচিক গাজন বা রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা
জানা যায়, হিন্দু লোকাচারে গাজনের রীতি খুবই পুরোনো একটি রীতি
প্রচলিত মতবাদ অনুয়ারী' গাজনের সন্ন্যাসীরা (এরা বেশিরভাগ শুধু চৈত্র মাসের জন্য 'সন্ন্যাস' নেন) চৈত্র সংক্রান্তিতে ভূত বা শিবের শিষ্য হয়ে যান