content
stringlengths 0
129k
|
---|
আবার বলছে কবিরাজের কাছে যাবেঘরে কনো সমস্যা হয়েছে নাকি দেখার জন্য |
তো আমি মেয়েটির কুরআনীচিকিৎসা করতেচাচ্ছি এসব কুফুরি কালাম থেকে তাদের দূরে রাখার জন্য |
আপনারা আমাকে বলুনআমি কিভাবে এবং কোন আয়াতগুলো দিয়ে তার চিকিৎসা করাবো |
আর এরকম করার কারন কিহতে পারে |
দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন প্লিজ |
আমার ফোনে এমবিনাই |
তাইরুকিয়াগুলো ডাউনলোড দিতে পারছিনা |
আমও নিজে তিলাওয়াত করতে পারবো কিনা এবং তার নিয়মগুলো কি দয়া করে জানাবেন প্লিজ |
: বাচ্চাদের অস্বাভাবিক বিষয়গুলো সাধারণত বদনজরের জন্য হয় |
এক্ষেত্রে মানুষের নজরলাগতে পারে, জ্বিনের নজরও লাগতে পারে |
(যেটা বাতাস লাগা বলে পরিচিত) আমরা সাজেস্ট করবো বাচ্চাকে রুকইয়ার গোসল দিয়ে দিন, আর রুকইয়ার আয়াতগুলো পড়ে ফুঁ দিন |
ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে |
রুকইয়ার গোসল: একটাবালতিতে পানি নিবেন, তারপর পানিতে দুইহাতডুবিয়ে 'যেকোনো দরুদ শরিফ, সুরাফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস, শেষে আবার কোনো দরুদ শরিফ' সব ৭বার করে পড়বেন |
পড়ার পর হাত উঠাবেন, এবং এই পানি দিয়ে গোসল করাবেন |
(যদি টয়লেট আর গোসলখানা একসাথে হয়, তাহলে অবশ্যই এসব সুরা বাহিরে এনে পড়বেন) |
6. অভিশাপ দূর করার ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিলাম |
শোনা যায় অমুক পরিবারের ওপর বা বংশের ওপর মানুষের / জিনের অভিশাপ আছে, তাই দিনদিন তাদের অবনতি হচ্ছে |
এসব কি সত্য? সত্য হলে এটা কিভাবে সমাধান করব? |
: এটাকয়েক রকম হতে পারে |
হয়তো জ্বিনদের বড় কোন ক্ষতি করেছিল যার জন্য বংশপরম্পরায় প্রতিশোধ তুলতে চায় |
অথবা মানুষ শয়তান হিংসা করে বদনজর দেয়... ব্যাপারটা এরকম না যে, কয়েক পুরুষ আগে দাদার দাদাকে কেউ একজন বদদোয়া দিছে এরজন্য বংশের সবাই সাফার করবে |
ইসলামের মূলনীতি হচ্ছে, একজনের দোষ অপরজন বহন করবেনা |
6.2. সেক্ষেত্রে ধরে নিলাম যদি জীন/মানুষদের হিংসা-নজর এর দারা বড় কোন ক্ষতি হয়েও থাকে সেটা জানা যাবে কিভাবে আর এর সমাধান কি? যার জন্য বংশ পরম্পরায় প্রতিশোধ তুলতে চায়?? |
- জ্বিনরা যদি কারো ওপর বা কোন বংশের ওপর ক্ষেপা থাকা তাহলে তো স্বাভাবিকভাবেই জানা যাবে, ওরা ক্ষতি করলে জানিয়েই করে সাধারণত |
বুঝাই যাবে জিনদের কারণে হচ্ছে, অথবা রুকইয়া করে জ্বিন ছাড়ানোর সময় স্বীকার করবে |
7. বিভিন্ন কঠিন রোগের জন্য রুকিয়ার ব্যাপারে জানতে চাচ্ছি |
যেমনঃক্যান্সার,টিউমার |
অনেকেই হোমিওপ্যাথি/এলোপ্যাথি কোন ঔষধই ক্ষেতে চান না, অথবা চিকিৎসার টাকা অনেক ব্যায়বহুল |
অনেকের অনেক ডাক্তারি চিকিৎসা করেও কাজ হয় না |
7.2. আরো একটি সমস্যার কথা, আমাদের বাসার অনেকেরই এই সমস্যাটা আছে সেটা হল, অ্যালার্জী জাতীয় সমস্যার জন্য অনেক ঔষধ খাওয়া হলেও দেখা যায় কিছু সময়ের জন্য সেরে গিয়ে পরবর্তীতে তা আবারও হয় |
এভাবে সমস্যা বেড়ে গিয়ে সেই স্থান থেকে দাঁদ এর মতোদেখা যায় |
গরমে এর থেকেও বেশি মারাত্বক হয়ে পাঁচরা জাতীয় হয়ে যায় |
আমি এরজন্য রুকিয়ার চিকিৎসা জানতে চাচ্ছি |
আপনারা এইটার রুকিয়ার ব্যাপারে জানালে আল্লাহ দিলে খুব উপকৃত হতাম |
7.3. মানসিক প্রবলেমের জন্য কোন রুকইয়া করা উচিত? |
: প্রথমতঃ বদনজরের জন্য রুকইয়া করা, একদিন দুইদিন না |
সপ্তাহর পর সপ্তাহ, প্রয়োজনে কয়েকমাস মাস ধরে করা |
আর বাদ না দিয়ে লাগাতার প্রতিদিন করা |
আমাদের রাসুল সল্লাল্লহুআলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন - আল্লাহর ফায়সালা ও তাকদিরের পর মানুষ সবচেয়ে বেশি মরে বদনজরের কারণে |
তাই আমরা বলতে পারি, অধিকাংশ প্রাণঘাতী রোগগুলোর পেছনে নিয়ামক হিসেবে থাকে বদনজর |
এরপর অন্যান্য আয়াতে শিফা পড়া বেশি এবং রুকইয়া করা |
যেমন, সাধারণ অসুস্থতার জন্য আয়াতে শিফা বেশ উপকারী |
আমরা আপাতত একটা সাজেশন দিতে পারি |
যেটা এরকম - |
[সাধারণ অসুস্থতার জন্য রুকইয়াহ] বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের জন্য রাসুল স. থেকে অনেক দু'আ কালাম পাওয়া যায়, রাসুল স.রুগীর মাথায়/কপালে হাত রেখে এসব পড়তেন, কখনো এসব পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে ফুঁদিতেন |
সব এখানে লেখা সম্ভব না |
কোরআন থেকে প্রসিদ্ধ কয়েকটি রুকইয়া হচ্ছে- এগুলো তিনবার করে পড়া - "সুরা ফাতিহা, সুরা ফালাক, সুরা নাস, ৬টি আয়াতে শিফা" (৯/১৪, ১০/৫৭, ১৬/৬৯, ১৭/৮২, ২৬/৮০, ৪১/৪৪) এছাড়াও রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রুকইয়ার দোয়াগুলো পড়া |
[আয়াত ও দোয়াগুলো নিয়ে পোস্ট আছে আলাদা] |
বিভিন্ন পদ্ধতি- ১. এগুলো সরাসরি পড়ে রুগীকেফু দিয়ে পারেন, বিশেষত যেখানে ব্যাথা সেখানে ফুঁ দিবেন |
২. রুগীর মাথায় হাত রেখে পড়তে পারেন, অথবা ব্যাথার যায়গায় হাত রেখে পড়তে পারেন |
৩. এসব পড়ে ঔষধ অথবা তেলের ওপর ফুঁ দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, মালিশ করতে পারেন |
৪. পুষ্টিকর কোন খাদ্য, পানি, ভিটামিন অথবা ডাক্তারের দেয়া ঔষধে এগুলো পড়ে ফুঁ দিয়ে খেতে পারেন |
৫.আর এর পাশাপাশি রুকইয়া শুনতে চাইলে "শাইখ হুযাইফি" ররুকইয়া শুনতে পারেন, এবং সা'দ আল গামিদির আধাঘণ্টার রুকইয়া শুনতে পারেন |
সেখানে অনেক অনেক দোয়া, আয়াতে শিফা আছে |
৬. আর রুকইয়ার গোসলও বিভিন্ন অসুখের জন্য খুব উপকারী |
(গোসলের পানিতে হাত রেখে সাতবার করে ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস পড়া |
সেই পানি দিয়ে গোসল করা |
) ৭. আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদ এবং নফল নামাজ পড়ে বেশি বেশি দোয়া করা |
মানসিক সমস্যার জন্য সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জ্বিন, তিনকুল - এই রুকইয়াটা খুব উপকারী |
এমনিতেও মানসিক সমস্যা আক্রান্তের ওপর সুরা ইয়াসিন পড়ে রুকইয়া করা উপকারী হয়ে থাকে |
পাশাপাশি রুকইয়ার গোসল করানো যেতে পারে |
8. আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন একবার জ্বিন দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল |
তবে তাকে আমি পরিচিত এক মানুষ রূপে দেখেছিলাম |
এরপর এরকম কোন ঘটনা ঘটেনিবেশ কয়েক বছর |
১১ সাল থেকে আমার সাথে বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে |
জ্বি নবিভিন্নভাবে আমার উপর টর্চার করতে থাকে |
ধীরে ধীরে তা খুব জঘন্যপর্যায়ে চলে যায় |
আমি বিভিন্ন দুঃস্বপ্ন দেখতাম যেমন সাপ, কুকুর এগুলো নিয়ে |
গ্রুপের দেওয়া জ্বিন আক্রান্ত ও বদনজর নিয়ে যে পোষ্ট গুলো আছে তারসাথে মেক্সিমাম ই আমার মিলে যায় |
৭-৮ মাস আগে আমি ভাইয়ের পোষ্টগুলো পড়ি |
তখন তার দেওয়া রুকিয়া অডিও ফাইলগুলো ডাউনলোড করি এবং শুনতে শুরু করি |
কোন নিয়ত বা কোন কিছু ছাড়াই |
শুধুমাত্রশুনে দেখার জন্য |
যখন আমি অডিও ফাইলটির প্রথম আয়াত গুলো শুনলাম তখন আমিপ্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম |
হার্টবিটপ্রচণ্ড জোরে হচ্ছিল আরআমার মাথা একদমঘুরে উঠেছিল এবং দেখলাম আমার পাশ দিয়ে একটা ছায়া হেটে চলে গেল |
এরপর আমিমাঝেমধ্যেই রুকিয়া শুনতাম নরমালি |
এতে জ্বিন খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে যায় এবংআমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাতে শুরু করে এবং বার বার হত্যা করার হুমকি দেয় |
আমাকে সে প্রতিবারই বলত সে আমাকে কখনওই ছাড়বে না সে আমাকে ভালবাসে আমারপ্রতি তার অনেক মায়া এই মায়া ছেড়ে যেতে পারবেনা |
আর এই কথাগুলো যখন বলততখন আমি স্বপ্নে কুকুর আমাকে এই কথাগুলো বলছে দেখতাম |
জ্বিনের ভয় দেখানোসত্ত্বেও আমি রুকিয়া মাঝেমধ্যে শুনতাম এবং শোনার পর ২ বার আমার প্রচণ্ডজ্বর হয় |
২য় বার জ্বরের পরের দিন আমাকে জ্বিন ধরার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ধরতে পারেনি তখন কেউ আমার কানের কাছে এসে বলেছিল আমি তোমার অনেক বড় উপকার করলাম |
তখন আমি বলেছিলাম তুমি না আল্লাহ আমার উপকার করেছেন আলহামদুলিল্লাহ |
আরও বিভিন্ন স্বপ্ন দেখতাম ভাল খারাপ বিভিন্ন ধরনের |
এর মধ্যে বেশ কিছুস্বপ্ন হুবাহু বাস্তবে হয়েছে |
এর মধ্যে দুইটা স্বপ্ন বেশ কয়েকবার দেখেছিএকটা সাদা বাড়ি আমার বাড়ির পাশেই ওখানে খুব খারাপ কিছু আছে |
ওখানে ব্ল্যাকম্যাজিক করা হয় |
আর একটা হল কাউকে জ্বিনে ধরেছে আমি বার বার আয়তুল কুরসি + সুরা নাস, সুরা ফালাক, সুরা ইখলাস পড়ে তাকে ফু দিচ্ছি |
এটা অসংখ্যবার দেখেছি |
আমার জ্বিন রিলেলেড ঘটনাগুলো অনেক বেশি |
রুকিয়া শোনার পরে ৭-৮ মাস আরও অনেক অনেক ঘটনাই ঘটেছে |
তাই আমি কোনটা ছেড়ে কি লিখবকিভাবে কি লিখব গুছিয়ে লিখতে পারছিনা |
এরজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী |
রুকিয়া শোনার পরে আমাকে বার বার বলা হয়েছে রুকিয়া না শুনতে এবং একবার আমারমাথা প্রচণ্ড জোরে চেপে ধরে স্বীকারোক্তি নিয়েছে আমি রুকিয়া শুনব না আর |
আমি বাধ্য হয়ে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছিলাম কারণ মাথা এতটাই সজোরে চেপে ধরছিলযে আমার মাথা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে |
প্রচণ্ড অসহ্য রকমের যন্ত্রণা করছিল |
তাই বাধ্য হয়ে আমাকে স্বীকারোক্তি দিতে হয়েছিল |
এই ঘটনার পরে আমার রুকিয়াশোনার প্রতি একপ্রকারঅনিহা চলে আসে আর জ্বিন আমার উপর খুব জঘন্য টর্চারকরলেও আমি কেন যেন চাই না জ্বিন আমার কাছে থেকে চলে যাক |
আবার আমি চাইও এটাচলে যাক |
কিন্তু একে তাড়ানোর ইচ্ছাটা আমার মধ্যে খুবই কম |
এখন আমি ৩ টি জিনিস জানতে চাচ্ছি |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.