content
stringlengths 0
129k
|
---|
এই নিয়ে ব্যাপক ট্রোলের সম্মুখীন হতে হলো নুসরাতকে
|
নেটিজেনদের রোষ কার্যত 'ঈশানের মা নুসরাত'কে নিয়ে
|
নেটিজেনদের একাংশের ধারণা, ছোট্ট ঈশানকে কলকাতাতে ফেলে রেখেই ভূ-স্বর্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন যশরত
|
মাকে ছাড়া ঈশান কেমন আছে? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তাদের
|
তাই তারা নুসরাতের সমালোচনায় মেতে উঠেছেন
|
নেটিজেনরা সরাসরি নুসরাতকে আক্রমণ করে লিখছেন, "বাচ্চাকে রেখে হানিমুন করতে গেছো, কী করে আছো? মায়ের নামে কলঙ্ক! মা হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই"
|
ঠিক এমনই ভাষাতে নুসরাতকে বিদ্ধ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা
|
উল্লেখ্য, 'চিনেবাদাম' ছবির শুটিংয়ের কাজ নিয়ে যশরত পাড়ি জমিয়েছেন কাশ্মীরে
|
গত শনিবার থেকে কাশ্মীরেই রয়েছেন তারা
|
শুটিং তো চলছেই, একইসঙ্গে মধুচন্দ্রিমাও সেরে নিচ্ছেন যশরত
|
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে 'ফেভারিট পার্সন' যশের সঙ্গে 'হ্যাপি টাইমস' কাটানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন নুসরাত
|
তাতেই কার্যত ক্ষেপেছেন নেটিজেনরা
|
যশরতের কাশ্মীরে সময় কাটানোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিতেও নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় তারা বেশ সুখে, নিশ্চিন্তে একে অপরের সান্নিধ্য উপভোগ করছেন
|
তাদের প্রেম মাখা মুহূর্তের বিভিন্ন ছবিতে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া
|
ঈশানের জন্মের পরপরই খোলামেলা ভাবে একে অপরের সান্নিধ্যে আসছেন যশরত
|
এখন আর কোনও রাখঢাক না পসন্দ তাদের
|
যশকে প্রকাশ্যে সরাসরি 'ফেভারিট পার্সন', 'বিলাভেড' বলে সম্বোধন করছেন তিনি
|
এদিকে নুসরাত যেভাবে ঈশানকে ফেলে রেখে মনের মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তাতে তাকে 'মায়ের নামে কলঙ্ক!', 'মা হওয়ার অযোগ্য' বলে মনে করছেন অনেকেই
|
এইতো সবে পৃথিবীর আলো দেখেছে যশরতের ছেলে ঈশান
|
তার জন্মের আগে থেকেই তাকে নিয়ে চলছে বিভিন্ন কাটাছেঁড়া
|
তবে সকল কিছু উপেক্ষা করেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন নুসরাত
|
আজ সেই সন্তানকেই ফেলে রেখে কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার বাবা-মা!
|
এমন দৃশ্য মোটেও সহ্য হচ্ছে না সমালোচকদের
|
তবুও অনেকে মনে করছেন ঈশানকে হয়তো কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েও থাকতে পারেন নুসরাত
|
তবে কাশ্মীরের এত ঠান্ডাতে একরত্তি কিভাবে আছে সেই নিয়েও চিন্তায় ঘুম উড়েছে বহু নেটিজেনের
|
বন্ধুকে সংবাদটি শেয়ার করুন
|
. *
|
আরও যা পড়ে দেখতে পারেন
|
স্বামীর পিঠে চড়ে ভোট দিলেন রওশন
|
বয়সে বড় মহিলার সাথে ১২ বছর বয়সে স'হবাস করেছিলেন রণবীর সিং, বললেন নিজেই
|
ক্যাট-ভিকির বিয়ের অতিথি তালিকায় নতুন চমক! তারকাখচিত বিয়েতে যোগ দিতে পারেন বিরাট-অনুষ্কা
|
কৈলাশ আমার উ'রুতে হাত রেখে বলেছিল- 'আহ, তুমি কত সুন্দর'
|
সা'বধান করে দিলেন মেহজাবীন
|
বেগুনি শাড়িতে ডানা মেললেন অভিনেত্রী পায়েল, উষ্ণতার ঝড় নেট দুনিয়ায়
|
মাত্র পাওয়া
|
পাঠক যা পড়ছে এখন
|
ক্ষমা চাওয়া না, তবে যেভাবে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে খালেদার
|
মৃ'ত্যুশয্যায় হঠাৎ একি প্রশ্ন করে বসলেন খালেদা, এর জবাব কি কারো কাছে আছে?
|
কোরআনের হাফেজদের জন্য খাবার ফ্রি করে দিল হোটেল মালিক
|
বাবা মা ছিলেন চেয়ারম্যান, এবার মেয়েও হলেন চেয়ারম্যান
|
শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণের আনন্দে কেঁদে ফেললেন ফরাসি তরুণী
|
ভারত থেকে ভিক্ষা করতে বাংলাদেশে এসে আটক সীতারাম
|
কখনো নারী কখনো পুরুষ বাংলাদেশি বিউটি ব্লগার সাদের আজব জীবন
|
সৌদিতে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর পর কেউ আর খোঁজ নেয় না
|
মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কারাগারে বন্দী ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি
|
কুয়েতে সাবেক এমপি ও পাপলুসহ ৫ ভিআইপির ৭ বছরের সা'জা
|
স্বামী যদি স'হবা'সে অ'ক্ষ'ম হয়, তাহলে স্ত্রী'র কী' করা উ'চিৎ
|
বিয়ের প্র'লোভনে শা'রীরিক সম্পর্ক অ'পরাধ নয়
|
২৫ কোটির বিনিময়ে সানি লিওনির পর এবার অ'শ্লীল বিজ্ঞাপনে কাজল
|
সড়ক দুর্ঘ'টনায় দুই মডেলের ম'র্মা'ন্তিক মৃ'ত্যু
|
৫ মাসের অ'ন্তঃসত্ত্বা হয়েও আমির খানের দা'বি মেটাতে হয়েছিল অভিনেত্রী করিনা কাপুরকে! তথ্য ফাঁ'স হতেই চাঞ্চল্য সোশ্যাল মিডিয়ায়
|
বেশ কয়েক বছর ধরে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আলোচিত হচ্ছে
|
সেটির বিস্তৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত
|
শিক্ষক সম্পর্কে যে রোমান্টিক ধারণা ছিল একভাবে সেটি যেমন ভেঙে পড়েছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নানা আচরণ নিয়েও চলছে হতাশা
|
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষিকা কর্তৃক ১৪ জন ছাত্রের চুল কাটার ঘটনা এখন ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে আবারও ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে
|
এরমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ও ১৭তম ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অসদাচরণ, পরীক্ষার নিয়ম অনুসরণ না করা, রূঢ় আচরণ করা এবং সুপারভাইজারকে অসহযোগিতা করার কারণ দেখিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার হয়েছে
|
তবে বহিষ্কৃত হওয়া ওই শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাদের শিক্ষকরা জুম প্ল্যাটফর্ম থেকে বহিষ্কার করেন
|
সেদিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়
|
যদিও পরে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে সেই বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়
|
এ তো গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা
|
স্কুলও পিছিয়ে নেই এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে
|
পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে আমরা জানতে পেরেছি, বাগেরহাটের মোংলায় বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোশাকের অংশ হিসেবে সাদা জুতা না পরায় বিভিন্ন শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে
|
এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে
|
এর আগে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা সবকিছুই আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জারি থাকা এক ধরনের আস্থাহীনতাকে ইঙ্গিত করে
|
যে সম্পর্ক হওয়ার কথা সবচেয়ে আস্থার, একে -অপরকে সহযোগিতা করার এবং একেবারেই খাঁটি, সেই সম্পর্ক যে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে, তার প্রমাণ এখন আমরা প্রায়ই পাচ্ছি
|
এখন আমাদের প্রয়োজন কেন এটি হচ্ছে এবং এ থেকে আমাদের উত্তরণের উপায় কী কিংবা আদৌ উত্তরণ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন কিনা সেটিও আলোচনায় আনতে চাই
|
এখন দেশজুড়েই দোষারোপের সংস্কৃতি বিরাজ করছে সেটি যেমন রাজনৈতিক অঙ্গনে সত্য, তেমনি কার্যকর আছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও
|
তাই শিক্ষকরা যেমন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন, তেমনই শিক্ষার্থীর নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ
|
তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই অভিযোগের বিপরীতে কোনোভাবেই শিক্ষার্থী নিপীড়ন অগ্রহণযোগ্য এবং একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়
|
একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো শিক্ষক মানে 'সেকেন্ড গড'
|
অন্তত ভারতীয় উপমহাদেশে এই ধরনের ভাবনার রেওয়াজ ছিল
|
তাই 'শিক্ষকের মর্যাদা' কবিতার মতো সবাই ভাবতেন ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক
|
পণ্ডিত মশাই মানেই অন্য জগৎ
|
তবে সেই ভাবনায় যে এখনও সবটাই বাতিল হয়েছে তা নয়
|
প্রাইমারি এবং হাইস্কুলের শিক্ষকরা এখনও অনেক শিক্ষার্থীর মনোজগৎ জুড়েই আছেন
|
যার কারণে এখনও দেখা যায়, ফেসবুকে প্রিয় স্কুলশিক্ষকের অসুস্থতায় অনেক শিক্ষার্থীই হাহাকার করছেন এবং প্রতিষ্ঠিত অনেকেই ছুটে যান হাসপাতালে প্রিয় শিক্ষককে দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজ নিতে
|
তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক একটু ভিন্ন পৃথিবীজুড়েই, সেখানে এই সম্পর্কের খোলস অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ, আন্তরিক এবং পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতার
|
কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই আসেন ১৮ বছর শেষ করে, অর্থাৎ তখন সে পূর্ণবয়স্ক মানুষ, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারার কথা
|
তাই তাকে প্রাইমারি বা হাইস্কুলের মতো শাসন করার দরকার পড়ে না কিংবা সেটি করতে চাওয়াটাও মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়
|
কিন্তু আমাদের সমাজ অনেকটাই অপরকেন্দ্রিক
|
সব সময় আমরা অপরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি
|
তাই ক্লাসে কোন মেয়ে সিগারেট খেলো, কার সঙ্গে কার সম্পর্ক, কাকে কোথায় ডেটিংয়ে দেখা গেলো, সেগুলো নিয়েও অনেক সময় আলাপে কোনও কোনও শিক্ষক জড়িয়ে পড়েন
|
আমরা অনেকেই ভুলে যাই এগুলো আমাদের এখতিয়ারের বাইরে
|
এসব শিক্ষার্থীর একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়
|
ঠিক একইভাবে সে চুল বড় রাখবে কী চুল ফেলে দেবে কিংবা কীভাবে চুল বাঁধবে কিংবা আদৌ বাঁধবে কিনা সেগুলোও যেমন তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তেমনি ওড়না পরা না পরা কিংবা ঘরে লুঙ্গি পরবে কী প্যান্ট পরবে সেটিও তার ইচ্ছা
|
এগুলো নিয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য, বক্তব্য কোনোটিই যে করা যায় না সেই বোধ একজন শিক্ষকের থাকতে হবে
|
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের দ্বারাও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বুলিংয়ের শিকার হন
|
যেমন, শরীরে বর্ণ নিয়ে, গড়ন নিয়ে, স্মার্টনেস নিয়ে, আঞ্চলিক উচ্চারণ নিয়ে এবং ইংরেজি পারা না পারা নিয়েও শিক্ষকরা অনেক সময়ই বুলিং করেন
|
এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীর মনোজগতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে
|
শিক্ষকদের বুলিং এবং ইচ্ছাকৃত কারও প্রতি অন্যায্য নম্বর বণ্টনের কারণে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে
|
এর পাশাপাশি কোনও কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হয়রানির অভিযোগ
|
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আচরণ বিষয়ে নানা সময়ে শিক্ষকদের আক্ষেপের কথাও আমরা বিভিন্ন সময়ে জানতে পেরেছি
|
তবে এটি যে ব্যক্তিগত কারও আচরণ তা নয়, তার চেয়ে বড় বিষয়ে হলো এগুলো মূলত প্রজন্ম কেন্দ্রিক চর্চিত আচরণ
|
অনেক শিক্ষার্থীই আছেন যারা ভাববাচ্যে কথা বলেন
|
আবার কেউ কেউ বলেন, 'স্যার বলছে...'
|
অনেক সময় দেখি শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে আছেন, শিক্ষার্থীরা তোড়জোড় করে লিফটে উঠছেন, নামছেন, শিক্ষকদের উঠতে দিচ্ছেন না কিংবা জায়গা দিচ্ছেন না
|
এটি শিক্ষক বলে নয়, প্রত্যেক রাষ্ট্রেই অপেক্ষাকৃত সিনিয়র সিটিজেনদের সম্মান দেখানোর সংস্কৃতি আছে
|
আমাদের দেশে সেটি ক্রমশ উঠে যাচ্ছে
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.