content
stringlengths 0
129k
|
---|
( )[ ১][২] |
[ ২][৩] |
84.0% |
5.2% |
3.6% |
7.1% |
জাতিগোষ্ঠী |
67% - |
28% |
3% - |
2% -[৪] |
(2011 )[৫] |
48.54% |
32.71% |
- 26.26% |
- 6.45% |
17.30% |
1.45% / |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ |
• |
• |
• |
• |
• |
12 1968 |
• |
12 1992 |
২,০৪০ কিমি২ (৭৯০ মা২) (170) |
• পানি/জল (%) |
• 2019 আনুমানিক |
1,265,475[৬] (158) |
• 2011 আদমশুমারি |
1,237,091[৩] |
৬১৮.২৪ /কিমি২ (১,৬০১.২ /বর্গমাইল) (10) |
জিডিপি (পিপিপি) |
2019 আনুমানিক |
$31.705 [৭] (133) |
• মাথাপিছু |
$25,029[৭] (61) |
জিডিপি (মনোনীত) |
2019 আনুমানিক |
$14.812 [৭] (129) |
• মাথাপিছু |
$11,693[৭] (64) |
জিনি (2017) |
এইচডিআই (2020) |
অতি উচ্চ · 66 |
() |
সময় অঞ্চল |
ইউটিসি+4 () |
তারিখ বিন্যাস |
// () |
গাড়ী চালনার দিক |
ইন্টারনেট টিএলডি |
মরিশাস আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের সন্নিকটে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র |
এর পূর্ণনাম মরিশাস প্রজাতন্ত্র |
দেশটির রাজধানীর নাম পোর্ট লুইস, যা দেশটির প্রধান সমুদ্র বন্দর |
দ্বীপটি আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে ২০০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মাদাগাস্কার দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ৮০০ কিলোমিটার পূর্বে, ভারত মহাসাগরের পশ্চিমভাগে অবস্থিত |
দেশটি ইংরেজি ভাষায় মরিশাস ( শুনুন (সাহায্য·তথ্য)) বা মরিশিয়াস, ফরাসি ভাষায় মোরিস (, শুনুন (সাহায্য·তথ্য)) এবং স্থানীয় ক্রেওল ভাষায় মরিস নামে পরিচিত |
দেশটিতে মরিশাস নামের একটি বৃহৎ দ্বীপ (আয়তন ১৮৬৫ বর্গকিলোমিটার) আছে, যার পূর্বে রোদ্রিগেস নামের আরেকটি দ্বীপ (১০৪ বর্গকিলোমিটার), উত্তর-পূর্বে কার্গাদোস কারাজোস (সেন্ট ব্র্যান্ডন) নামের কিছু চড়া এবং ৫০০ কিলোমিটার উত্তরে আগালেগা নামের ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ আছে |
[১০][১১] সব মিলিয়ে দেশটির আয়তন প্রায় ২০৪০ বর্গকিলোমিটার (ঢাকা নগরীর প্রায় ৭ গুণ বা কলকাতা নগরীর প্রায় ১০ গুণ) |
এছাড়া দ্বীপটি ২৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট একটি একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধিকারী |
[১২] এছাড়া মরিশাস উত্তর-পূর্বের চাগোস দ্বীপপুঞ্জ ও পূর্বের ত্রোমলাঁ দ্বীপটিকে নিজের বলে দাবী করে |
মূল মরিশাস দ্বীপটি একটি আগ্নেয় দ্বীপ যেটি চারপাশে প্রবালপ্রাচীর দিয়ে বেষ্টিত |
রাজধানী পোর্ট লুইসে একটি চমৎকার প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় আছে যাতে মহাসমুদ্রগামী জাহাজগুলি নোঙর ফেলতে পারে |
ভৌগোলিকভাবে এটি মাসাকারিন দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটি দ্বীপ, যাতে রদ্রিগেস দ্বীপ ও ফরাসি রেউনিওঁ দ্বীপটি অন্তর্ভুক্ত |
উত্তর-দক্ষিণে ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৪৭ কিলোমিটার প্রশস্ত এই দ্বীপটির উত্তরভাগে একটি সরু সমতল নিম্নভূমি আছে যেখানে দ্বীপের অধিবাসীদের সিংহভাগ বাস করে |
দ্বীপের মধ্যভাগে একটি উঁচুভূমি ও দক্ষিণে একটি পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত |
দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ পর্বতটি অবস্থিত, যার নাম পিতোঁ দ্য লা প্যতিত রিভিয়ের নোয়ার (উচ্চতা ৮২৮ মিটার) |
দ্বীপের মধ্যভাগে বেশকিছু হ্রদ রয়েছে, যাদের মধ্যে ভাকোয়াস হ্রদ দ্বীপটির স্বাদু পানির প্রধান উৎস |
এখানকার জলবায়ু উপক্রান্তীয় ধরনের এবং আবহাওয়া সারাবছর সুষমভাবে উষ্ণ (গড়ে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও আর্দ্র থাকে, তবে মধ্যভাগে উচ্চভূমিতে তাপমাত্রা কিছুটা কম |
বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উপকূলে প্রায় ১০০০ মিলিমিটার এবং মালভূমি অঞ্চলে ৫০০০ মিলিমিটার |
ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং এই মৌসুমে প্রায়ই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঘটে |
মধ্যভাগের উচ্চভূমি থেকে বেশ কিছু পাহাড়ি নদী উপকূলের দিকে প্রসারিত হয়েছে |
দ্বীপটির প্রধান নদীটির নাম গ্র্যান্ড রিভার, যেটি দ্বীপের জলবিদ্যুতের সিংহভাগ যোগান দেয় |
মরিশাস দ্বীপটির অভ্যন্তরভাগ অতীতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃক্ষের অরণ্যে আবৃত ছিল; এর পর এই বনগুলির সিংহভাগই কেটে ফেলা হয় এবং এগুলিকে চিনি উৎপাদনকারী আখের খামার দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় |
এছাড়া এখানে বাঁশের ঝাড়, নারকেল গাছ ও আবলুস গাছ দেখা যায় |
মরিশাসের অনন্য কিছু প্রাণীর মধ্যে লম্বা লেজবিশিষ্ট সম্বর হরিণ ও তেনরেক নামের একটি কাঁটালো স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী উল্লেখযোগ্য |
এখানে ডোডো নামের একটি উড়তে অক্ষম ও বৃহৎ পাখির বাস ছিল, কিন্তু ১৬৮১ সালের আগেই শেষ ডোডোটি বিলুপ্ত হয়ে যায় |
মরিশাসে সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ লোকের বাস |
এখানকার জনঘনত্ব (প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৬৩৮ জন) বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি |
এখানকার জাতিগত বৈচিত্র্য উচ্চ |
বর্তমানে দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৮%) লোক ১৯শ শতকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত আখচাষীদের বংশধর |
প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৭%) লোক "ক্রেওল" নামক শ্বেতাঙ্গ, এশীয় ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ নরগোষ্ঠীর লোকের সংমিশ্রণে গঠিত একটি নরগোষ্ঠী |
এছাড়া চীনা (৩%) ও ইউরোপীয় (২%, মূলত ফরাসি) বংশোদ্ভূত ক্ষুদ্র সম্প্রদায় আছে |
ফরাসি বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়টি ধনী শ্রেণী গঠন করেছে |
ইংরেজি প্রশাসনিক ভাষা, তবে প্রায় সবাই স্থানীয় ক্রেওল ভাষায় (এক ধরনের ফরাসি পাতোয়া ভাষা) কথা বলে; এছাড়া ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য নৃগোষ্ঠীগত ভাষাও (হিন্দি ভাষা, উর্দু ভাষা, ভোজপুরি ভাষা, তামিল ভাষা, চীনা ভাষা) প্রচলিত |
এখানকার লোকেদের অর্ধেকের (৪৮%) ধর্ম হিন্দুধর্ম; খ্রিস্টধর্ম (রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীর) ও ইসলাম ধর্ম যথাক্রমে দ্বিতীয় (২৬%) ও তৃতীয় (১৭%) প্রধান ধর্ম |
ভারতীয় বংশোদ্ভুত লোকেরা হিন্দু ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং বেশির ভাগ ক্রেওল নরগোষ্ঠীর লোক খ্রিস্টান |
এটি আফ্রিকার একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ |
[১৩][১৪] দেশের অর্ধেকের বেশি জনগণ শহরে বাস করে |
প্রায় ৮৫% লোক সাক্ষরতা অর্জন করেছে |
Subsets and Splits
No saved queries yet
Save your SQL queries to embed, download, and access them later. Queries will appear here once saved.