content
stringlengths
0
129k
তবে আইনি জটিলতায় জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় লেগে যায়
এরপর হলি আর্টিজান হামলা ও করোনার কারণেও ব্যাহত হয় এ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ
সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে এখন দৃশ্যমান এ অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৯ সালে বেজা ও জাপানের সুমিতোমো করপোরেশনের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়
ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে সুমিতোমো করপোরেশন
বেজার তত্ত্বাবধানে জমি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে
বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) যৌথভাবে প্রকল্পে অর্থায়ন করছে
ইউসুফ হারুন বলেন, "বাংলাদেশের শেয়ার এখানে ৩০ শতাংশ আর ৭০ শতাংশ জাপানের
জাপান সরকার সুমিতোমো কোম্পানিকে তাদের ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে
ভূমি উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
১৬০ একর জায়গা ডেভেলপ করে আমরা সুমিতোমো করপোরেশনকে হস্তান্তর করেছি
সেখানে প্রতিষ্ঠান করতে প্রায় ২২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
বেজার তথ্যমতে, ৩-৪ মাসের মধ্যেই আরও ১৬০ একর জায়গা সুমিটোমো করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়া হবে
জায়গা বুঝে নেওয়ার পর করপোরেশন অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণ শুরু করবে
এরপর জমি বুঝিয়ে দেবে বিনিয়োগকারীকে
বেজা চেয়ারম্যান বলেন, "যেসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে তারা দ্রুতই সেখানে তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ শুরু করবে
আমাদের বাকি জায়গায় ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে
আরও কিছু জায়গা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আমাদের দিবেন
সেটির অধিগ্রহণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে
বেজা সূত্রে জানা গেছে, অটোমোবাইল এসেম্বলি, মোটরসাইকেল, মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য ও যন্ত্রপাতি, এগ্রো ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে
জানা গেছে, এখানে বিনিয়োগ করতে জাপানের টয়োটা, মিতসুবিশি, সুমিতোমো, তাওয়াকি, সুজিত লিমিটেড প্রভৃতি কোম্পানি এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে
ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কোম্পানির সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে প্রায় ৩০০-এ দাঁড়িয়েছে
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সম্প্রতি বলেন, দ্বীপরাষ্ট্রটির পরিকল্পনা হচ্ছে শিল্পাঞ্চলে তাদের ১০০টি কোম্পানি থাকবে যেখানে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে
আড়াইহাজার আদতে 'টেস্ট কেস'
আড়াইহাজারে অবস্থিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চল যদি সাফল্যের গল্প হয়ে উঠতে পারে, তাহলে পরবর্তীতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাপান আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে
সেটিও সফল হলে, কক্সবাজারের মহেশখালীতে পরবর্তী অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে
গত মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এমন সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেন
ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের ক্রমবর্ধমান প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৯০.১৮ মিলিয়ন ডলার
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ৩২১টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি কাজ করছিল
এ সংখ্যা ২০১০ সালে কাজ করা ৮৩টি কোম্পানির সংখ্যার প্রায় চারগুণ
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও ২০২০ অর্থবছরে জাপানের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬০ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১০ অর্থবছরের প্রায় তিনগুণ বেশি
মনে হবে সমুদ্রের নীল আর আকাশের নীল যেন পরস্পরের হাত ধরে হেঁটে চলেছে
নীল, নীল পরিবেশ সর্বত্র
বিশেষ করে রাতে জোছনার আলোয় এই নীলেরা যেন অপূর্ব এক শান্তিময় পরিবেশের সৃষ্টি করে
বলা হয় সমুদ্র বিশাল
মন ভালো করতে চাইলে চলে যাও সমুদ্রের কাছে
আরও স্পষ্ট করে বলি, মন ভালো করতে চাইলে, আনন্দ পেতে চাইলে বলে যাও সেন্টমার্টিন দ্বীপে
সেন্টমার্টিন ভ্রমনের আদ্যোপান্ত : এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ
কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন
চারদিকে শুধু পানি আর পানি
আয়তন ১৭ বর্গ কিলোমিটার
টেকনাফ থেকে ট্রলারে লঞ্চে কিংবা জাহাজে যেতে লাগে দুই থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা
এর জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার
নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ধান এই দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য
আর অধিবাসীদের প্রায় সবারই পেশা মৎস্য শিকার
তবে ইদানীং পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে
সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিতান্ত সহজ-সরল, তাদের উষ্ণ আতিথেয়তা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ
স্বল্প খরচে পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে
যেভাবে যাবেন: বাংলাদেশের যে কোনও স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে পৌঁছাতে হবে কক্সবাজারে
কক্সবাজার থেকে প্রথমে জিপে চড়ে টেকনাফ, টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছাবেন সেন্টমার্টিনে
প্রতিদিন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় দূরপাল্লার বেশ কিছু গাড়ি
বাসে ভাড়া লাগবে এসি ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা এবং নন-এসি ৬০০-৯০০ টাকা
কক্সবাজার তো গেলেন তারপর বাসে ৩০-৫০ টাকা, ট্যাক্সিতে ৪০-৬০ টাকা অথবা রিজার্ভ মাইক্রোবাসে টেকনাফ যেতে ভাড়া লাগবে ৫০০-১০০০ টাকা (৮-১০ সিট)
প্রতিদিন সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চলাচল করে এসব গাড়ি
শীত মওসুমে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সকাল থেকে আসা-যাওয়া করে সি-ট্রাক, কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং নাফসি হাজাজ
চমৎকার এসব জাহাজের পাশাপাশি ট্রলারও চলাচল করে এই সমুদ্র রুটে
পছন্দসই বাহনে যেতে পারেন
তবে নিরাপদ জলযান হিসেবে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও নাফসি জাহাজই নির্ভরযোগ্য
এসব জাহাজে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা
অন্যদিকে প্রতিদিনই বিকাল ৩টায় এসব জাহাজ সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে
শীত মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে, তখন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ
কক্সবাজার ভ্রমণের প্রস্তুতি নিন
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
যেতে চান কি নাটোর উত্তরা গণভবনে?
আগস্ট ১৬, ২০২১
রুপ অপরুপ বাংলাবান্ধা!
এপ্রিল ২৪, ২০২১
অপরূপ সৌন্দর্যের নীলাভূমি ছেঁড়াদ্বীপ : ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু
দক্ষিণ দিকে এর পরে বাংলাদেশের আর কোনো ভূখন্ড নেই
সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে 'ছেঁড়াদিয়' বা 'সিরাদিয়া' বলা হয়ে থাকে
প্রবাল দ্বীপে ইউনিয়ন সেন্ট মার্টিন্স থেকে ছেঁড়া দ্বীপ প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত
দক্ষিণের এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক পাথর
দ্বীপের প্রায় অর্ধেকই জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায়
এই এলাকাটি সরকারের ঘোষিত একটি 'পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা'
এরকম এলাকায় ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানায় জমি কেনা, এমনকি কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ
ছেঁড়া দ্বীপ মূল দ্বীপ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে
প্রবাহ বঙ্গোপসাগরের ঢেউ ছেড়া দ্বীপের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ঢোকার পথে একমাত্র ব্রিজের কাছ থেকে ছোট বোটে চড়েই যেতে হয় ছেঁড়া দ্বীপে
ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য জোয়ারের অপেক্ষা করতে হয় পর্যটকদের
কেননা সাগরে পূর্ণ জোয়ার না থাকলে সেখানে বোটে চড়া কষ্টকর হয়ে যায়
বঙ্গোপসাগরের নীল জল আগত পর্যটকদের সহজেই আকর্ষণ করে
সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে প্রবাল পাথরের ওপর
মুহুর্তেই ঢেউ এসে পরিষ্কার করে দিচ্ছে দ্বীপের বিচ
চিকচিক বালুর ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে উপভোগ করা যায় বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের খেলা
সেন্টমার্টিনসহ ছেঁড়া দ্বীপের চারপাশেই রয়েছে কেয়া গাছের বিস্তরণ
কেয়া গাছের শিকড় একটি আরেকটিকে বন্ধুর মতো জড়িয়ে ধরে আছে
গাছ গুলো এভাবেই ঝঢ় জলোচ্ছাসে কিছুটা হলেও দ্বীপবাসীকে রক্ষা করে
তাই দ্বীপবাসীর জীবন রক্ষাকারী হিসেবেও ভ'মিকা পালন করছে কেয়া গাছ
কোথায় খাবেন
যারা স্বল্প সময়ের জন্য সেন্টমার্টিনে যেতে চান অর্থাৎ সন্ধ্যার আগে ফিরতে চান তাদের অবশ্যই ৩টার আগে ফিরতি জাহাজ ধরতে হবে
ছোট এই দ্বীপ এলাকা ঘুরে দেখতে ২/৩ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট
তবে প্রধান দ্বীপ ও ছেড়া দ্বীপে যারা যেতে চান তাদের হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকা উচিত
এখানে পর্যটকদের খাবারের জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও রেঁস্তোরা
কেয়ারি মারজান রেস্তোঁরা, বিচ পয়েন্ট, ফোন: ০১৮৮৮১০৮০৬, ০১৮৬৫২৮১১০
হোটেল আল্লার দান, বাজার বিচ- ০১৮৯০৮৪২০৩
এছাড়া আসাম হোটেল, সি বিচ, সেন্টমার্টিন, কুমিল্লা রেস্টুরেন্ট, রিয়েল রেস্তোঁরা, হাজী সেলিম পার্ক, সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পার্ক, হোটেল সাদেক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য
যেখানে থাকবেন
সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের হোটেল ও কটেজ রয়েছে
কটেজে প্রতিরাতে কমপক্ষে ৫০০ জন পর্যটক থাকতে পারেন
অনেক বাড়িতেও আছে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা