text
stringlengths 0
4.32k
|
---|
আবার কালো রঙে ঘুমিয়ে পড়লে |
স্বপ্নে বিড়ালটি চুপচাপ তখনও… |
অথচ গল্পের গরুটি গাছের নিচেই দাঁড়িয়ে |
বিড়ালটিকে মাছ বাছার কাজে লাগানো হয়েছে |
এবং সে এর আগে পিঠেও ভাগ করেছিল |
এখন দুধের বাটি আগলে রেখেছে শিশুর… |
বাঘের মাসিকে আমিও মাসিই বললাম |
মোমবাতির দাঁত ও নখে রিরংসা জেগেছিল |
লেজটি গুটিয়ে নিলে মেঘমুক্ত আকাশ |
ঝোলায় কয়েক টুকরো খিদে |
ফুটোফাটা দিয়ে উঁকি মারছে |
হিমেল হাওয়া, টুকছে বেড়ালের সহবৎ… |
গুড়ের স্বাদে প্রাণপন ভ্রমর উড়ছে |
দুটি ডানায় কাঁপছে থরথর |
চার পায়ে বিপদ এগিয়েছে মন্থর |
ঠিক তখনই খরগোশ গোলপোস্টের দিকে |
এগিয়ে যেতেই |
বলটি শিখলো উড়ান |
দানাগুলো জমাট বেঁধে সাঁতরে চলেছে |
করোটির ভেতর; সুয়োপোকার গুটি |
মাটিতে উলঙ্গ শামুকের মন |
একটি উপোস দেশালাই এগিয়ে আসছে জলের ভেতর… |
বিড়ালটি শুনতে শিখছে অ আ ক খ |
প্রভুর কাছে একভাড় কৃতজ্ঞতা! |
মধুর বোয়াম থেকে চমকে উঠছে মৃতসঞ্জীবনী |
এভাবেই বিড়ালটি প্রভুর কানেই বাজিয়ে দিল ম্যাঁও |
কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা ও… |
হালুম করলেই- লে হালুয়া! |
যেন তেন প্রকারেন প্রাণ বাঁচাই |
ভিক্ষের বাটি থেকে উপচে পড়ে আলো |
অনবরত বাঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরছে… |
এখন রতি কাল। সময়-অসময় ঝরে পড়া |
মন তরল না বায়বীয় এটা জানতে চাষাবাদ |
আলু-পটল-বেগুন-মূলো আরও নানান |
প্রতিটি অনুষঙ্গের সাথে মোহাব্বত |
সুনীল আরাম |
দুলছেন পিকাসো |
আর নাগরের কাছে নাগরিক চাওয়া |
তরল না বায়বীয় আজও জানা হলো না… |
বাঁশটি কেটে তেল চকচকে করে পিছনে রাখা |
পরম্পরাগত বাঁশের বাহার |
আর |
খ্যাপাকে নৌকো না-দোলানোর কথা |
তৎসহ সব সত্য বচন পাখি আওড়ালেন |
এখন করোটি ফুঁড়ে উড়ছে প্রজাপতি |
আকাশে রামধনু ভাঙা পণ |
সেজেগুজে। সদলবলে। |
বিড়ালটি এসব কথা কানে তুলবে না এখন! |
বিড়াল গল্প |
বিড়াল বলে মাছ খাইনা |
একথা হয় বিশ্বাস! |
যদি বলে মাছের গন্ধে |
নিতে পারিনা নিঃশ্বাস। |
এমন কথা পায়না শোভা |
বিড়ালের মুখে, |
তবুও যদি জোড়ে বলে |
দীর্ঘশ্বাসে বুকে। |
এসব কথা কুকুর শোনে |
চেচিয়ে উঠে ঘেউ, |
আজব কথায় বিশ্বাস নাই |
তোমরা শোননা কেউ। |
পুকুর পাড়ে গল্প বলে |
কুকুর বসে শোনে, |
জলের নিচে মাছগুলো |
মৃতুর প্রহর গুনে। |
বিড়াল নাকি সাধু সেজে |
নিরামিষ খায়, |
বুর্জোয়া আজ জন দরদী |
চলে এখন বায়। |
বিড়াল গল্প বিদেশ ভুমে |
কোথাও না শুনি, |
এখানে শুধাই ছিলো যত |
আমার পরিচিত মুনি। |
বিড়াল মিনি |
আমার একটা বিড়াল আছে, |
নাম তার মিনি, |
পছন্দ তার মাছ এবং |
দুধের সাথে চিনি। |
ডাকটা যে তার খুব ভালো |
ম্যাঁও ম্যাঁও সে ডাকে, |
এমনতরো মধুর আওয়াজ |
নিজের করে রাখে। |
মেইন কুন |
গৃহপালিত বিড়ালদের মধ্যে সবছেয়ে বড় জাতটি খুজতে গেলে সর্বপ্রথম যে নামটি আসবে তা হচ্ছে মেইন কুন । এটি উত্তর আমেরিকার সবছেয়ে প্রাচীনতম গৃহপালিত বিড়াল যা যুক্ত রাষ্ট্রের মেইন রাজ্য কর্তৃক স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় বিড়াল। অনিন্দ্য সুন্দর চেহারা, লম্বা ও মাজারি আকারের পশমের এই বিড়াল সবার দৃষ্টি আর্কষন করে এর বিশাল আকার, সামাজিকতা, শিকার ধরার কৌশল ও বড় বড় পশম যুক্ত লম্বা লেজের কারনে। |
এই বিড়ালের জাতটির বিকাশ কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প থাকলেও এর সঠিক ইতিহাস কারোই জানা নেই। তবে ধারনা করা হয় প্রাচীনকালে নাবিকেরা তাদের জাহাজে রক্ষিত খাদ্যশস্যকে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করতে বিড়াল রাখতো। এই বিড়ালদের কোন কোনটা তীরে এসে স্থানীয় জনপদের সাথে থেকে গেছে। এই বিড়ালগুলো সম্ভবত নরওয়েয়ান বন্য বিড়াল কিংবা সাইবেরিয়ান বন্য বিড়ালের হতে পারে। উপকূলে আসার পরে সম্পূর্ন বিপরীত ও বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে এরা। এই বৈরী আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে এদের অনকে সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। সম্পূর্ন বৈরী ও অনুকূল আবহাওয়ার পরেও যারা টিকে গেছে তাদের বংশধরেরা নতুন পরিবেশের সাথে সহজেই মানিয়ে নিয়েছে এবং এদের শাররীক বৈশিষ্টে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই বিড়ালগুলোই পরবর্তীতে বিকশিত হয়ে মেইন কুন (Maine Coon) জাত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। যদিও এইটা একটা সম্ভাব্য ধারনা তবে সত্যিকারের কোন ধারনা কারো জানা নেই। |
ইতিহাস যাইহোক বর্তমানে এই বিড়ালগুলো অনেক জনপ্রিয় একটি জাত। এরা পোষা প্রানী হিসেবে খুবই ভদ্র প্রকৃতির তাই এদেরকে অনেকে "the gentle giant" বলে। এই জাতটিকে সবছেয়ে বড় জাত বলা হয় কেনো তা এদের শাররীক গঠন দেখলেই বুজতে পারবেন। |
আকার আকৃতিঃ |
প্রাপ্ত বয়স্কে এদের উচ্চতা হয় ১-১.৫ ফুটের মতো আর লেজ সহ লম্বায় তিনফুট থেকে সোয়া তিনফুটের মতো হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মেইন কুনের ওজন হয় ৫.৯ থেকে ৮.২ কেজি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা মেইন কুনের ওজন হয় ৩.৬ থেকে ৫.৪ কেজি। ২০১৮ সালে ব্যারিভেল নামক মেইন কুন গিনেস বুকে নাম উঠায়। এটি লম্বায় ছিলো ৩ ফুট ১১.২ ইঞ্চি। যা এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সবছেয়ে বড় মেইন কুন বিড়াল। |
সাভান্নাহ |
বিড়াল নিয়ে মানুষের আগ্রহ সেই প্রাচীনকাল থেকেই। সেই আগ্রহ থেকেই ১৯৮৬ সালে জুডী ফ্রাংক নামক এক ব্যাক্তি গৃহপালিত সিয়ামেসি বিড়ালের সাথে বন্য র্সাভাল বিড়ালের ক্রস ঘটান। যেখানে বন্য সার্ভাল বিড়াল আকারে অনেক বড়। এই দুইটি বিড়ালের ক্রসে যে হাইব্রিড জাতের বিড়ালের জন্ম হয় তার নাম দেওয়া হয় (সাভান্নাহ)। |
Savannah মূলত একটি হাইব্রিড জাতের বিড়াল। এই বিড়ালগুলো দেখতে অনেকটা সিলিন্ডার আকৃতির। অর্থ্যাৎ বিড়ালগুলোর দেহ লম্বা, সরু এবং উঁচু। বন্য বিড়ালের সাথে ক্রস ব্রিডিং এর মাধ্যমে প্রথম যে প্রজন্ম পাওয়া যায় তাদের মাঝে বন্য স্বভাবটা বেশী পরিলক্ষিত হয়। তবে এই প্রজন্মের বিড়ালগুলো আকারে সবছেয়ে বড় হয় এবং বন্য সার্ভাল বিড়ালের মতো এদের শরীরের কালো কালো ছোপ থাকে যার ফলে এদের দেখতে অনেক আকর্ষনীয় লাগে। প্রথম প্রজন্মের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক সাভান্নাহ লম্বায় প্রায় ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ওজন হয় প্রায় ১১ কেজির মতো। |
আবার প্রথম প্রজন্মের সাভান্নাহ বিড়ালগুলোকে যখন নিজেদের মাঝে প্রজনন করা হয় তখন যে নতুন প্রজন্ম বা বাচ্ছার জন্ম হয় তারা আকারে কিছুটা ছোট হয় এবং তাদের মাঝে বন্য স্বভাবটা অনেটাই হ্রাস পায়। বন্য স্বভার হ্রাস পেলেও এদের দেহের রঙ্গ বর্ণের পরিবর্তন খুব কমই হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের বিড়ালগুলো পোষা প্রানী হিসেব সবছেয়ে ভালো হয়। এই প্রজন্মের বিড়ালগুলো আকারে প্রথম প্রজন্ম থেকে কিছুটা ছোট হয়ে থাকে। দ্বিতীয় প্রজন্মের বিড়ালগুলোর ওজন ৭.৫ (সাড়ে সাত কেজির মতো হয়ে থাকে। এই ভাবে এক জেনারেশন থেকে আরেক জেনারেশনে এদের বন্য স্বভাব হ্রাস পায় এবং একই সাথে এদের আকার ও ওজন কমতে থাকে। |