instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জি-সেভেন সামিটের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মন্ত্রী আইএমএফ-এর একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এই তথ্য জানিয়েছিলেন। কানাডা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি - এটি জি-৭ এবং অর্গানাজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-র সদস্য। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনার বিষয়টি কৌতুহল সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশের একটি কানাডার সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির পার্থক্য আসলে কতটা? মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) একটি দেশের উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মোট বাজার মূল্য হলো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি। মানুষের ভোগ ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয় ও সরকারি ব্যয় মিলে জিডিপি নির্ধারিত হয়। রপ্তানি থেকে আমদানি বিয়োগ করে যা থাকবে, তাও এখানে যোগ হয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ২০১৭ সালে কানাডার মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১.৬৪৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ২৪৯.৭২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি পার ক্যাপিটা) বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের হিসাবে কানাডার মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন ৪৪,৮৭০.৮ মার্কিন ডলার হলেও, বাংলাদেশের এই আয় ১,৫১৬.৫ মার্কিন ডলার। আরো পড়ুন: কানাডা কেন দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে? বিশ্বনন্দিত ট্রুডো ভারতে এসে উপেক্ষিত কেন? মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে বিদেশে অর্জিত অর্থ যোগ করার পর তা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া অর্থ বাদ দিলে যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা-ই মোট জাতীয় আয়। যেমন বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করে যে অর্থ দেশে পাঠান, তার সঙ্গে যোগ হবে মোট দেশজ উৎপাদন। সেটি থেকে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশে থেকে যে অর্থ বের করে নিয়ে যান, তা বাদ দিলেই মোট জাতীয় আয় পাওয়া যাবে। কানাডার ২০১৭ সালে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ৪২,৭৯০ মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আয় ১,৪৭০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশটি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। তবে একই অর্থবছরে কানাডার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ। তবে অর্থনীতির আকারে বিশাল পার্থক্য থাকলেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার দিক থেকে একই তালে রয়েছে বাংলাদেশ ও কানাডা। ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৬ শতাংশ। আর তাতে বাংলাদেশ ও কানাডা সমান অবদান রাখবে - যা হবে ০.৯ শতাংশ। ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশের বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই হার আসলে তেমন কোন অর্থ বহন করে না। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ''কারণ উন্নত দেশের প্রবৃদ্ধির হার এমনিতেই কম হবে, যেহেতু তারা অনেক উন্নতি করে ফেলেছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রবৃদ্ধির হার বেশি হবে।'' তিনি আরও বলেন, ''জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে সেটিও আসলে কিছুই না। যেমন বাংলাদেশের জনসংখ্যা কানাডার পাঁচগুণ বেশি, সেহেতু প্রবৃদ্ধিও পাঁচগুণ বেশি হওয়া উচিত - তাতো হয়নি।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাজশাহীতে সর্দি-জ্বরের ঔষধে উল্টো অসুস্থ ১৪ শিশু পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে স্নায়ুবিজ্ঞানীদের টিপস সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট বাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে থাকলেও, কানাডায় এই হার অত্যন্ত কম বলে মনে করা হয় দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা হার ২০১৬ সালের তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ২৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে রয়েছে। কিন্তু কানাডায় দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মোট জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে কানাডা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেখানে ১৬ কোটি ৪৬ লাখ, সেখানে কানাডার জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৬৭ লাখ। কানাডার একজন বাসিন্দার গড় আয়ু ৮২ বছর, যেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর।
বাংলাদেশ ও কানাডা: দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কতটা?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
একটি স্টলে নিউ ইয়র্ক টাইমস বিক্রি হচ্ছে। পত্রিকাগুলো বলছে, চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরপরই তারা এই মহামারির ওপর বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছিলেন। বহিষ্কৃত এই সাংবাদিকরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, চীন এভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বড় ধরনের ভুল করেছে। আর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে যে, এই বহিষ্কার মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নজিরবিহীন আক্রমণ। কিন্তু চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত চীনা সাংবাদিকদের ওপর আরোপ করা বিধি-নিষেধের জবাবেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনসহ সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবেলায় জোর লড়াই করছে, তখন বিশ্বের এই দুটো মহাশক্তিধর দেশের এই যুদ্ধ সেই লড়াইকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই ভাইরাসটি মোকাবেলা নিয়ে দুটো দেশ শুরু থেকেই একে অপরকে আক্রমণ করে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসকে "চীনা" বলে উল্লেখ করে চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে। জবাবে বেইজিং বলছে, এধরনের মন্তব্য করে ওয়াশিংটন চীনকে বদনাম দেওয়ার চেষ্টা করছে। করোনাভাইরাসটি চীনের উহান শহরেই প্রথম পাওয়া যায় গত বছরের শেষের দিকে। কিন্তু চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন যে মার্কিন সৈন্যরাই এই ভাইরাসটি সেখানে নিয়ে গেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মার্কিন সাংবাদিকদের মিডিয়া পাস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিতে হবে। একই সঙ্গে এই সাংবাদিকরা চীনে কী ধরনের কাজ করতেন - সে বিষয়েও তারা বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু, আরো চার জন আক্রান্ত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য কঠোর সতর্কবার্তা করোনাভাইরাসের কারণে বদলে গেল আজানের বাণী 'ফ্রান্সের লকডাউন দেখে ৭১-এর কথা মনে পড়ছে' - বললেন প্যারিসের এক বাসিন্দা করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস আপনার শরীরে কী ঘটায়? বেইজিং-এর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এই সাংবাদিকরা এখন তাদের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ এলাকা হংকং ও ম্যাকাউতেও কাজ করতে পারবেন না। এই দুটো অঞ্চলে সাংবাদিকরা চীনের মূল ভূখণ্ডের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন। এমাসের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক কতজন চীনা নাগরিক সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন তার সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হচ্ছে, এর প্রতিশোধ হিসেবেই বেইজিং মার্কিন সাংবাদিকদের চীন থেকে বহিষ্কার করেছে। চীনের উহান শহরের একটি হাসপাতাল জীবাণুমক্ত করা হচ্ছে। এই শহরেই ভাইরাসটির প্রকোপ শুরু হয়। "যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে সেটা চীনের সংবাদ মাধ্যমকে লক্ষ্য করেই করেছে। আর সেটা করা হয়েছে শীতল যুদ্ধের সময়কার মানসিকতা এবং আদর্শগত পক্ষপাত থেকেই," এক বিবৃতিতে বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিবিসির চীনা বিভাগের সাংবাদিক ঝাওইন ফেং বলছেন, চীনে যেসব বিদেশি সাংবাদিক কাজ করেন তাদেরকে প্রতি বছর তাদের মিডিয়া পাস বা কাজের অনুমতি পত্র নবায়ন করতে হয়। সাধারণত বছরের শেষ দিকে সেটা করা হয়ে থাকে। তিনি বলছেন, চীনের এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন এই সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। তিনি বলেন, "এর ফলে চীনে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর কাজের ক্ষতি হবে, বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের, কারণ গত মাসে তাদের তিনজন সাংবাদিককে চীন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।" বলা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক সম্পাদকীয় প্রকাশের জেরে তাদের দুজন সাংবাদিককে বহিষ্কার করার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে চীনা সাংবাদিকের সংখ্যা কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীনসহ সারা বিশ্বে যখন সাংবাদিকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন তখন এধরনের সিদ্ধান্ত চীনের জন্যে আরো বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: যেভাবে বাসায় বসে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা করোনাভাইরাস: নিজেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে ভারত করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ না করতে বলছেন। মানুষ কি তা পারবে?
করোনাভাইরাস নিয়ে চীন-আমেরিকা লড়াই: চীন থেকে মার্কিন সাংবাদিক বহিষ্কার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
এই সময়ে নতুন করে আরও ১,৫৩৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫,৫৭৭ জনের মৃত্যু হলো। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৭৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার হিসাবে বাংলাদেশে এখন প্রতি ১০০ জনে আক্রান্ত হচ্ছেন ১১.১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৪৮২ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৩ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৭.৬০ জনের বেশি সুস্থ হয়ে উঠছেন। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭ জনের। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৮.১৭ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪,২৯২ জন আর নারী ১,২৮৫ জন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ‍্যে বেশির ভাগের বয়স ৬০-এর উপরে। কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস: বাজার থেকে কেনা খাবার কতটা নিরাপদ? করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় বাংলাদেশে ফুসফুসের অসুখের যেসব মূল কারণ, যেভাবে সুস্থ রাখবেন
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে নতুন শনাক্ত দেড় হাজারের বেশি রোগী, মৃত্যু ২২ জনের
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এই ছবিটি টুইট করেছেন। এই হামলার ঘটনা প্রকাশ করার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে যে তাদের আক্রমণে বহু সংখ্যক জইশ-ই-মোহাম্মদ সদস্য নিহত হয়েছে। অন্যদিকে এমন দাবি পাকিস্তান একেবারেই প্রত্যাখান করে দিয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন করাচীর সাংবাদিক মনির আহমেদ। ভারতের দাবী: দিল্লিতে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন যে দেশটির বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে হামলা চালানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বালাকোটের ওই শিবিরটিই ছিল জইশ-ই-মোহাম্মদের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ শিবির। "আজকের হামলায় বড় সংখ্যক জইশ-ই-মোহাম্মদ সন্ত্রাসবাদী, প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডার আর আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন জিহাদিদের খতম করা হয়েছে," বলেন মি. গোখলে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই শিবিরটি পরিচালনা করতেন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের আত্মীয় মাওলানা ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ ঘউরি। ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, পুলওয়ামার হামলার আগেও আরও দুবার জইশ-ই-মোহাম্মদ ভারতে হামলা চালিয়েছে - একবার ভারতের সংসদ ভবনে, আরেকবার পাঠানকোটের সেনা ছাউনিতে। "পাকিস্তানকে বারবার জইশ-ই-মোহাম্মদের শিবিরগুলির অবস্থান জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি," এমন অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, "আমাদের কাছে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল যে তারা আবারও হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, আত্মঘাতী হামলাও হতে পারে বলে খবর ছিল।" ওই সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতেই আগেভাগে বোমাবর্ষণ করে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেন মি. গোখলে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্যদিকে, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বালাকোটে হামলা চালিয়েছে ভারত। কিন্তু এখন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে, যে বালাকোটে বিমান হামলা হয়েছে, সেটি খাইবার-পাখতুনখোয়ার বালাকোট। বিদেশ সচিব মি. গোখলে মঙ্গলবারের বোমাবর্ষণকে 'Non military pre emptive action' বলে বর্ণনা করেন, অর্থাৎ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না। পাহাড়ের ওপরে ঘন জঙ্গলের ভেতরে অবস্থিত এই শিবিরটির কাছাকাছি বেসামরিক মানুষের বসবাস নেই। তাই তাদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটের দিকে এই অপারেশন হয় বলে দাবি করেছে ভারতের বিমান বাহিনী। আরো পড়ুন: বিমান থেকে চালানো হামলার জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি কীসের? পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ভারতের বোমা বর্ষণ ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? মিরেজ প্লেন (ফাইল ছবি) মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতের বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বোমাবর্ষণ করে ১২টি মিরেজ-২০০০ যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান কী বলছে? পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবশ্য স্বীকার করেছে যে মুজফ্ফরাবাদ সেক্টর দিয়ে ভারতীয় বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, তাদের বিমানবাহিনী সঙ্গে সঙ্গেই তাড়া করে ভারতীয় বিমানগুলিকে। ভারতীয় বিমান থেকে যে বোমা ফেলা হয়েছিল, তা বালাকোটের কাছে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন মেজর জেনারেল গফুর। ভারতীয় বিমান থেকে ফেলা বোমার টুকরোর একটি ছবিও টুইটারে শেয়ার করেন তিনি। করাচী থেকে সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেনি বলে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। "তারা (ভারত) কোন বোম্বিং করতে পারেনি, তাদের টার্গেট হয়তো থাকতে পারে কিন্তু কোন টার্গেটে যেতে পারেনি," পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আহমেদ। তিনি জানান, "পাকিস্তানের সীমানা লঙ্ঘনের পরপরই পাকিস্তানের জেট তাদের (ভারতীয় বিমান বাহিনীকে) পিছু ধাওয়া করে। তখন তারা মোড় ঘুরিয়ে বিস্ফোরকগুলো ড্রপ করে সেখান থেকে চলে যায়।" সেগুলো বালাকোটের কাছে যে খাড়া পাহাড় আছে, সেখানে পড়েছিল বলে জানতে পেরেছেন এই সাংবাদিক। তিনি জানান, এই ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছে পাকিস্তান।। এ ঘটনায় ভারতে কীভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন মনির আহমেদ। "ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ফরেন মিনিস্টার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলছেন পাকিস্তান এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিবে" - এমনটাই জানালেন তিনি। বিকেল প্রায় পাঁচটার দিকে পাকিস্তান সরকারের ভেরিভাইড টুইটারে সর্বশেষ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে: ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বিশেষ বৈঠকে বলা হয়েছে, ভারত অজ্ঞাতসারে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, যেটির জন্য পাকিস্তান সময়মতো ও জায়গামতো উত্তর দিবে। পুলওয়ামাতে কী ঘটেছিল? জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ের ওপরে হামলা চালিয়ে ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ সদস্যকে হত্যা করে বলে ওই সংগঠনটি নিজেরাই দাবি করেছিল। তারপর থেকেই ভারতের নানা মহল থেকে দাবি উঠছিল যে ওই হামলার কড়া জবাব দেওয়া হোক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন ওই হামলা যারা করেছে, তারা বড় ভুল করেছে এবং এর জন্য তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। মঙ্গলবারের হামলার পরে ভারতের ক্ষমতাসীন আর বিরোধী দলের নেতারা বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে বালাকোটে হামলা: ভারতের দাবি 'নিহত অসংখ্য', পাকিস্তানের নাকচ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বায়তুল মোকাররাম: ওয়াজ মাহফিলের বয়ান নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন নীতিমালা নেই। এই তিনজন বক্তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক এবং উগ্রবাদকে উৎসাহ দেয় এমন বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল ফজল মীর বলছেন স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছিলেন যে, ওই তিন ব্যক্তি কিছু বিভ্রান্তিকর, উস্কানিমূলক ও উগ্রবাদকে উৎসাহিত করার মতো বক্তব্য দেয় । অভিযোগ পাওয়ার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে বিষয়টি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ও স্থানীয়দের সাথে বৈঠক হয়। সে বৈঠকেই তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। 'সেই সিদ্ধান্তই এখনো চলমান আছে,'' তিনি বলেন। যে তিন ব্যক্তির ওপর জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের মধ্যে একজন বেসরকারি টেলিভিশনে ধর্মীয় বক্তব্য দেয়ার জন্য পরিচিত। গত সোমবার জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে তা কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলছেন, ওয়াজ মাহফিল করতে হলে আগেই অনুমতি নিতে হবে এবং আবেদন পাওয়ার পর পুলিশ আগে পর্যালোচনা করে দেখবে কারা ওয়াজ করবেন। পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ওয়াজের অনুমতি দেবে জেলা প্রশাসন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'কিছু ওয়াজে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে' সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে ভোটের রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের শক্তি কেন বাড়ছে মাওলানার বয়ান ওয়াজ মাহফিলের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু বাংলাদেশে বছর জুড়ে বিশেষ করে শীতের মৌসুমে সারাদেশে অসংখ্য ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে যাতে ধর্মীয় বক্তারা বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এমন অনেক ওয়াজে কারও কারও আপত্তিকর বক্তব্য বিশেষ করে নারীদের নিয়ে কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে। বয়ান নিয়ে নীতিমালা ঢাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা বলছেন ওয়াজ মাহফিলে বয়ান কেমন হবে বা কোনো বিষয়ে বলা যাবে বা যাবেনা তার কোনো নীতিমালা নেই। তবে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলছেন, আলেমদের অকারণে বিরক্ত না করার পাশাপাশি বিভ্রান্তিকর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য যেনো কেউ না দিতে পারে তা নিয়ে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। "কোনো ভাবেই যেনো হক্কানি আলেম বা ওলামাদের বিরক্ত না করা হয়, ইমাম বা খতিবের সঠিক বক্তব্য যেনো বাধা দেয়া না হয়, আবার কোনো লোক যেনো ইসলাম ও ধর্ম বিরোধী বক্তব্য না রাখতে পারে, সন্ত্রাসবাদ বা জিহাদের নামে উৎসাহিত করার মতো বক্তব্য দিতে না পারে - এসব বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি,'' তিনি বলেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ড. ফাজরীন হুদা বলছেন সরকারের উচিত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাতে করে ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ কোনো অশালীন কিংবা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিতে না পারে। "সরকারের নীতি থাকা উচিত। সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে আর পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন থাকা উচিত। সরকারের নীতিতে থাকা উচিত যাতে নিজের ধর্মের অপব্যাখ্যা না হয়। সরকার করছেনা কেনো জানিনা। তবে ওয়াজগুলোকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ ও সেন্সর করার উচিত,'' তিনি বলেন। তিনি বলছেন ওয়াজ সাধারণ মানুষকে সরাসরি প্রভাবিত করে, সেজন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পণ্ডিত ব্যক্তিরা যেনো ধর্মের সঠিক প্রচার ও ব্যাখ্যা করতে পারেন সেজন্যই ওয়াজে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত কর্তৃপক্ষের। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক চলতি বছরের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিলো দেশের গ্রামে-গঞ্জে, এমনকি ইউটিউবসহ সামাজিক নেটওয়র্কের মাধ্যমে কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে উৎসাহ দিচ্ছেন। একইসাথে এই বক্তারা নারী অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্বেষ বা হিংসা ছড়াচ্ছেন, সে কারণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিলো। এমন ১৫ জন বক্তাকে চিহ্নিত করে ওয়াজ মাহফিলের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছয় দফা সুপারিশও করা হয়েছিলো। যদিও এরপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং কর্মকর্তারাও আর কোনো তথ্য এ বিষয়ে দিতে পারেননি। অবশ্য মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে তখন বলা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। তবে ইসলামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন তখন এই পদক্ষেপকে ইসলাম প্রচারে বাধা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
ওয়াজ মাহফিল: কুমিল্লায় তিনজন মাওলানা নিষিদ্ধ, কিন্তু বয়ান নিয়ে এখনো কোন নীতিমালা নেই
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক দেশে মানুষের জীবনধারা এখন অনেক বদলে গেছে। সংক্রমণের ভয়ে মানুষ অনেক বেশি নিজেদের ঘরের ভেতর আলাদা করে রাখছেন। বিভিন্ন দেশে মানুষজনকে বলা হচ্ছে শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাজারে যেতে। কিন্তু অনেক মানুষই উদ্বিগ্ন যে বাজার থেকে ঘরে আনা জিনিসগুলো কি জীবাণুমুক্ত? সেগুলোতে অদৃশ্য জীবাণু লেগে নেই তো? থাকলে কী করা উচিত? বাজারের মধ্যে ঝুঁকিগুলো কী? আমরা জানি আক্রান্ত মানুষের হাঁচি কাশির সঙ্গে বেরন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম থুতুকণার মধ্যে ভরা থাকে এই করোনাভাইরাস। হাঁচি কাশির মাধ্যমে সেগুলো আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে বেরিয়ে বাতাসে মেশে। আপনি যদি সেই বাতাস নি:শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেন, অথবা সেই ভাইরাস ভরা কণাগুলো যেসব জায়গায় পড়ছে সেগুলো আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করে সেই হাত যদি নিজের মুখে দেন আপনি কার্যত সংক্রমিত হবেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস সংকটে সুইডেনের ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর কাজেই বাজারে বেরিয়ে এবং অন্য লোকের কাছাকাছি আসার মাধ্যমে আপনার ঝুঁকি বাড়ছে। আর সে কারণেই বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন- অর্থাৎ অন্য মানুষের থেকে অন্তত দুই মিটার (প্রায় ছয় ফুট) দূরত্বে থাকুন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী খালি হাতে নাড়াচাড়া করেন বহু মানুষ। কাজেই সেগুলোর মাধ্যমে জীবাণু ছড়াতে পারে। লন্ডনের স্কুল ফর হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলছেন ভাইরাস ছড়ানোর একটা ঊর্বর ক্ষেত্র হল বাজার। “বাজারে আপনি যেসব জিনিস কিনছেন সেগুলো আপনার আগে আরও অনেক মানুষ হয়ত হাত দিয়ে ধরেছে, নাড়াচাড়া করেছে। “যেখানে পয়সা দিচ্ছেন সেখানে আরও লোকের হাত পড়েছে, আপনি নগদ অর্থে দাম দিলে যে খুচরা হয়ত আপনাকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেগুলোও কিছুক্ষণ আগে অনেক হাত ঘুরে এসেছে। আপনি যদি এটিএম মেশিন থেকে পয়সা তুলে থাকেন, সেখানেও মেশিনের বোতামে আপনার আগে হয়ত আর কারও হাত পড়েছে। এরপর রয়েছে বাজারে আপনার ধারেকাছে দাঁড়ানো মানুষরা। এদের মধ্যে কে আক্রান্ত তা কি আপনি জানেন?” এই ঝুঁকিগুলো কীভাবে এড়াবেন? . বাজারে যাবার আগে এবং বাজার থেকে ফিরে এসে সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভাল করে হাত ধোবেন অথবা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত পরিস্কার করতে পারেন। · ধরে নেবেন আপনি যেসব জায়গা হাত দিয়ে ধরেছেন সেগুলো খুব সম্ভবত সংক্রমিত। যেমন হ্যান্ড রেলিং, দরোজা, শপিং বাস্কেট, ট্রলি। আর যা কিনেছেন সেগুলোও। কাজেই বাজার করার পর হাত না ধোয়া পর্যন্ত মুখে কখনই হাত দেবেন না। · পারলে অথবা সুযোগ থাকলে নগদ অর্থ ব্যবহার না করে কার্ড ব্যবহার করে বাজার করুন। তবে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকি আছে। পশ্চিমের দেশগুলোতে কন্টাক্টলেস কার্ড আছে অর্থাৎ কার্ড ব্যবহারের সময় কিছু সই করতে বা পিন নম্বর পাঞ্চ করতে হয় না। তাই কার্ড ব্যবহারের সময় দোকানের কলম ব্যবহার করলে বা পিন নম্বর দেবার জন্য বোতাম চাপতে হলে পাওনা চুকিয়ে দেবার পর হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কেনা জিনিস নিয়ে কতটা দুশ্চিন্তা করব? রান্না খাবারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রিমত হবার কোন তথ্যপ্রমাণ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন খাবার রান্না হলে এই ভাইরাস মরে যায়। কিন্তু ঝুঁকি আছে কাঁচা শাকসব্জি, ফলমূল নিয়ে। যেহেতু অন্য ক্রেতারা বাজারে যে কোন জিনিস হাত দিয়ে ধরে থাকতে পারে, এমনকী বিক্রেতারাও সেগুলো ধরছে, তাই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই যে সেগুলো পুরো জীবাণুমুক্ত। কাঁচা সব্জি বা ফলমূলের মাধ্যমেও জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। কাঁচা বাজারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ব্লুমফিল্ডের পরামর্শ হল সবকিছু ভাল করে কলের ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর সেগুলো তুলে রাখবেন বা ব্যবহার করবেন। আর প্লাস্টিকের প্যাকে, টিনের বা কাঁচের পাত্রে বিক্রি হচ্ছে এমন কিছু কিনে আনলে সেগুলো ৭২ ঘন্টা না ছুঁয়ে সরিয়ে রেখে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে চাইলে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করার তরল পদার্থ (ব্লিচ জাতীয় ডিসইনফেকেটন্ট) দিয়ে মুছে নিন। তবে কড়া ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। বোতলের গায়ে দেখে নেবেন কতটা পরিমাণ পানি মিশিয়ে তা হালকা করে নিতে হয়- বলছেন অধ্যাপক ব্লুমফিল্ড। বাসায় পৌঁছে দেয়া খাদ্যসামগ্রী কতটা নিরাপদ? আপনাকে বাসাতে বাজার পৌঁছে দেবার যদি ব্যবস্থা থাকে সেটা এক অর্থে ঝুঁকি কমায়, কারণ আপনাকে লোকের ভিড়ে যেতে হচ্ছে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে ঝুঁকির জায়গাগুলো হল- কেনা জিনিসপত্র অন্য কেউ হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেছে কীনা, যে ব্যাগ বা থলি বা বাক্সে করে আপনার বাজার আনা হয়েছে সেগুলো কারা ধরেছে এবং যে ড্রাইভার হাতে করে আপনার বাজার পৌঁছে দিচ্ছে সে সংক্রমিত অথবা জীবাণু বহন করছে কীনা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল- যে বাজার নিয়ে এসেছে তাকে বলুন নিরাপদ দূরত্ব থেকে বাজারের ব্যাগ নামিয়ে চলে যেতে এবং কেনা জিনিসগুলো কাঁচা বাজার হলে কলের ঠাণ্ডা পানিতে সেগুলো ধুয়ে শুকিয়ে তুলে রাখুন। আর বোতল, প্যাকেট বা টিন হলে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে ব্যবহারযোগ্য ব্লিচ পাতলা করে গুলে সেগুলো মুছে নিন। খেয়াল রাখবেন ব্লিচ যেন খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ না করে। দোকানের বিক্রেতারা ফলমূল ধরার ব্যাপারে সতর্কতা নিলেও ক্রেতারা তেমন সতর্ক নাও হতে পারেন। সবসময় ব্লিচের বোতল দেখে নিশ্চিত হয়ে নেবেন, যে ব্লিচ জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন তা যে কাজে ব্যবহার করছেন তার জন্য সঠিক কীনা এবং তা নিরাপদ মাত্রায় ব্যবহার করছেন কীনা। খেয়াল রাখবেন ব্লিচ যেন খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ না করে। ইংল্যান্ডের ওয়ারইক মেডিকেল স্কুলের ড. জেমস গিল বলছেন বাসার কাজে ব্যবহার করা যায় এমন ব্লিচ সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করলে এক মিনিটের মধ্যে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। বাইরে থেকে কেনা খাবার (টেক আওয়ে) কতটা নিরাপদ? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্লুমফিল্ড বলছেন রান্না করা গরম খাবার, যদি তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করা হয় তার থেকে কোন ঝুঁকি থাকে না। বাইরে থেকে কেনা খাবার ঘরে এনে খেতে চাইলে গরম খাবার কিনবেন – বাসি খাবার ভাল করে গরম করে খাবেন যাতে কোনরকম জীবাণু গরম করার সময় মরে যায়। পিৎসা জাতীয় খাবার কিনলে সেটাও মাইক্রোওয়েভে দু মিনিট ধরে গরম করে নেবেন, পরামর্শ অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ডের। তিনি আরও বলেছেন বাজার থেকে আনানো গরম খাবার যে ঠোঙা বা বাক্সে করে আসছে, সেগুলো ঘরে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিনে ফেলে দিন এবং খাবার গরম করে খান। আর খাবার আগে অবশ্যই বিশ সেকেন্ড ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
করোনাভাইরাস: বাজার থেকে কেনা খাবার কতটা নিরাপদ?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন শামীমা বেগম সিরিয়ার ক্যাম্পে আটকে থাকা শামীমা বেগমের শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনার পরই এই তথ্য জানা গেল, যিনি তথাকথিত ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছিলেন এবং যুক্তরাজ্য তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। আইনি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সানডে টাইমস বলছে, ওই নারীদের নাম রিমা ইকবাল এবং তার বোন জারা। তাদের দুজনেই পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা ছিলেন। স্বরাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা আলাদা করে কোন ঘটনার ওপর মন্তব্য করে না। আরো পড়ুন: শামীমার ‘অন্যায়ের’ জন্য ক্ষমা চাইলেন তার বাবা শামীমার সন্তানের মৃত্যু: সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ মন্ত্রী সেখানে আরো বলা হয়েছে, কারো নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই নেয়া হয়ে থাকে, যা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এই ক্ষমতার ব্যবহার সম্প্রতি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। অভিবাসন বিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্রি মুভমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হিসাবে ২০১৭ সালে ১০৪জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যা আগের এক দশকে ছিল মাত্র ৫০টি। এর মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং আল কায়েদার মতো গোষ্ঠীকে সমর্থন করার মতো অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি রোচডেল গ্রুমিং গ্যাং এর মতো অপরাধী চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। তিন বান্ধবী খাদিজা সুলতানা, আমিরা অবাসি ও শামিমা -আইএস বাহিনীতে যোগ দিতে ব্রিটেন ছেড়ে যান। সানডে টাইমস বলছে, ৩০ বছরের রিমা আর ২৮ বছরের জারা সিরিয়ায় পৃথক দুইটি শরণার্থী ক্যাম্পে বাস করছে, যেখানে জিহাদিদের নিয়ন্ত্রিত সাবেক এলাকাগুলো থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার শরণার্থী রয়েছে। এই দুই বোনের পাঁচটি সন্তান রয়েছে, যাদের সবার বয়স আট বছরের নীচে। এই বোনদের পিতামাতা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তবে তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সানডে টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই বোনরা ২০১৩ সালে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য ছাড়েন এবং তার আগেই আইএসের এমন যোদ্ধাদের বিয়ে করেন, যাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা জিম্মি হত্যা এবং ভিডিও করার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। যুক্তরাজ্যে থাকার সময় জারার একটি সন্তান হয়। সিরিয়ায় যাবার সময়ও গর্ভবতী ছিলেন জারা। সিরিয়ায় গিয়ে তিনি তৃতীয় সন্তানের মা হন। রেমার একটি সন্তানের জন্ম হয় যুক্তরাজ্যে, অপর জনের সিরিয়ায়। অনেকটা একই ধরণের ঘটনায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের জিহাদি-বধূ শামীমা বেগমের বিষয়টি নিয়ে এখন সমালোচনার মূখে পড়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। শামীমা বেগমের শিশু সন্তানটি সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এই সমালোচনা শুরু হয়েছে। চিকিৎসা সনদ হিসাবে নিউমোনিয়ায় মারা গেছে শামীমা বেগমের তিন সপ্তাহ বয়সী শিশু সন্তান যারাহ। ইসলামিক স্টেট বাহিনীতে যোগ দিতে মিজ বেগম ১৫ বছর বয়সে লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় যান । এই টিনএজার যখন ফিরে আসার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন তখন মিস্টার জাভিদ তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা জানান। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: তিমির সাথে ধাক্কা লেগে ফেরির ৮০ জন যাত্রী আহত ব্যালট বাক্স আগেই ভরা নিয়ে বিতর্ক ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন যে ইংরেজ নারী উত্তর কোরিয়া 'রকেট ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে'
আরো দুই আইএস জিহাদি বধূর নাগরিকত্ব বাতিল করলো যুক্তরাজ্য
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ভারতে নগরায়ন বাড়ছে দ্রুত গতিতে। দেশটির সরকার তাই দেশ জুড়ে কিছু শহরকে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা করে বড়সড় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিবিসির রিয়েলিটি চেক প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখছে। ২০১৫ সালে ভারতের সরকার পাঁচ বছরে ১০০ শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে। বাস্তবতা: প্রকল্পের সময়সীমা বিলম্বিত হয়েছে কারণ কর্মসূচির শুরুতে শহরগুলোকেই চিহ্নিত করা যায়নি। আর খুব অল্প পরিমাণ অর্থই বরাদ্দ করা হয়েছে। স্মার্ট সিটি আসলে কী? ভারতের সরকারের কথায় স্মার্ট সিটির একক কোনো সংজ্ঞা নেই। কিন্তু এর অঙ্গীকার ছিলো নির্ধারিত একশ শহরের জীবনমান উন্নয়নে বেশি অর্থ বরাদ্দ হবে। সরকারের স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় যে একশ শহরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার শেষ তালিকাটি এসেছে মাত্র ২০১৮ সালে অর্থাৎ গত বছর। ফলে মূল প্রকল্প পিছিয়ে গিয়েছে এবং নতুন সময়সীমা হয়েছে ২০২৩ সালে। আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ মসজিদে হামলাকারীর ভারতীয় নির্বাচন: চায়ের গ্লাসেও 'চৌকিদার' স্লোগান কেন? এক নারীর দুই জরায়ু থেকে জন্মালো তিন সন্তান ভারতের সরকার পাঁচ বছরে ১০০ শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলো। প্রজেক্টগুলো কি বাস্তবায়ন হচ্ছে? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রকল্প অনুমোদন করেছে যার জন্য ব্যয় হবে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। সরকার বলছে, ৭১৫ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে আর ২ হাজার ৩০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় রয়েছে। যদিও সরকারি তথ্য থেকেই দেখা যায়, বরাদ্দ ও প্রকৃত ব্যয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। জানুয়ারিতে অবশ্য সরকার স্বীকার করেছিলো যে মোট বরাদ্দের মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। যদিও এ অর্থ ব্যয় নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। হাউজিং ও ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক নামের একটি এনজিও স্মার্ট সিটি মিশনকে নাম দিয়েছে স্মার্ট ছিটমহল প্রকল্প হিসেবে। বিশ্লেষকদের যুক্তি - নতুন প্রকল্পে যত জোর দেয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ততটা মনোযোগ নেই। সরকার বলছে, এজন্য তারা নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। সরকারের দাবি, গত বছর থেকে স্মার্ট সিটি প্রকল্প গতি পেয়েছে। সরকারের একজন মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরি অবশ্য বিবিসিকে বলছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে ৫০টি শহরের কাজও যদি শেষ হয় তাহলে সেটিও হবে বিশ্বের এ ধরণের কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতির বাস্তবায়ন। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার সব বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হবে: মন্ত্রী ঢাকার অবৈধ ভবনগুলো টিকে আছে কীভাবে
লোকসভা নির্বাচন: ভারতের ১০০ স্মার্ট সিটি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হলো?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বারবার ভুল করা মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখে। জীবনের প্রতিটি কাজ সঠিক হওয়াটা জরুরি হলেও কাজ করতে গিয়ে মাঝেমাঝে জগাখিচুড়ি করে ফেলাটা খারাপ কিছু নয়। কেননা মানুষের ভুল হবেই। কখনো ভুল করেনি, এমন মানুষের নজির নেই। বরং ভুল মানুষের অপকারের চাইতে উপকার করেছে বেশি। চলুন জেনে নেই ভুলের কিছু ইতিবাচক দিকের বিষয়ে। ১. নতুন কিছু শেখায় কথায় আছে, "'আপনি আপনার ভুল থেকেই শেখেন"। বারবার ভুল করা আমাদের মস্তিষ্ক এবং দক্ষতা বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভেবে দেখুন একটি শিশু কিভাবে হাঁটতে শেখে। একজন জিমন্যাস্ট কিভাবে এতো জটিল কসরত আয়ত্তে আনে? ভুলকে স্বাভাবিকভাবে নিতে শিখতে হবে। অথবা কোন রান্নার প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী শো স্টপার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, স্বাদ নিখুঁত করতে একই জিনিস কতবার রান্না করেন। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনরোগবিদরা জানান, ভুল থেকে শিখলে মনের 'বিকাশ হয়। বুদ্ধিমত্তা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে কাজ করলে এর উন্নয়ন সম্ভব। এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশুরা ভুলগুলোর প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা ততোই দ্রুত শিখেছে। ২. নতুন পথের সন্ধান দেয় ভুলের কারণে অনেকের জীবনেই অনেক অপ্রত্যাশিত ইতিবাচক ঘটনা ঘটে। হয়তো কেউ চাবি ভুল করে হারিয়ে ফেলেছেন। সেটা খুঁজতে গিয়ে এমন কিছুর সন্ধান পেয়ে গেলেন যেটা হয়তো আরও বেশি জরুরি। পৃথিবীতে মাইক্রোওয়েভ থেকে শুরু করে পেস মেকার পর্যন্ত। ছোট বড় যতো উদ্ভাবন রয়েছে, তার সবকিছু শুরু হয়েছিল কোন না কোন ভুল থেকে। যদি স্কটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৮ সালে তার ছোট ভুলের কারণে পেনিসিলিন উদ্ভাবন থেকে পেছনে সরে যেতেন, তাহলে আমাদের জীবন হয়তো এতোটা সহজ হতো না। তার এই বিস্ময়কর আবিষ্কার এখন কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় করে চলছে। প্রতিট ভুল আমাদের নতুন পথের সন্ধান দেয়। ৩. নিজেদের চিনতে শেখায় অস্কার ওয়াইল্ড বলেছিলেন, "মানুষ নিজেদের ভুলগুলোকে যে নামে ডাকে তাই হল অভিজ্ঞতা"। এ কারণে নিজেদের ব্যাপারে বা জীবন সম্বন্ধে শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভুল করা। একটি বড় পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে আপনি শিখবেন কিভাবে হতাশা মোকাবিলা করতে হয়। পরিবারের গোপন কিছু কথা ভুল করে শুনে ফেললে, আপনি বিব্রতকর পরিস্থিতি সামলে নিতে শিখবেন। ৪. লক্ষ্য অর্জনের পথ খুলে যায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং লেখক থিওডোর রুজভেল্ট বলেছেন, "যে ব্যক্তি জীবনে কখনো ভুল করেনি, সে জীবনে কোন কাজই করেনি।" ভুল করার কারণে আমরা প্রায়ই পুনরায় চেষ্টা করতে বা নতুন কোন চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাই। ভুল থেকেই নতুন কিছু শুরু করার আগ্রহ জাগে। তবে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ভুলকে মেনে নিলে আর এমনটা হবে না। বরং ভুল থেকে শিখে জীবনে কোন বাঁধা ছাড়া এগিয়ে গেলে সহজেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। ৫. অগ্রাধিকারকে স্পষ্ট করতে সাহায্য করে বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক জে কে রাওলিং ২০০৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, তার বয়স যখন পঁচিশের কাছাকাছি তখন তিনি জীবনের বিশাল সব ভুল আর ব্যর্থতার মুখোমুখি হন। তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর মেয়েকে নিয়ে চরম দরিদ্রতার মুখে পড়েন তিনি। জীবনে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন, হতাশ হয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার লেখক পরিচয় আজ তাকে এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মিজ রাওলিং বলেন, "আমি যা নই, সেটা ভেবে আমি নিজের সঙ্গে ভান করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যে কাজটা আমার জন্য গুরুত্ব রাখে আমি সেই কাজেই নিজের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দিতে শুরু করলাম। নিজেতে সব ভয় থেকে মুক্ত করে দিলাম। কারণ আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমার ভয়টা কিসে এবং কেন। আসল কথা আমি বেঁচে আছি। আমার একটা মেয়ে আছে যাকে আমি ভালবাসি। সে সময় আমার সম্বল ছিল মাথাভর্তি গল্পের চিন্তা আর একটা পুরানো টাইপ রাইটার।" থিওডোর রুজভেল্ট বলেছেন, "যে ব্যক্তি জীবনে কখনো ভুল করেনি, সে জীবনে কোন কাজই করেনি।" ৬. ভুল হতে পারে হাসির খোরাক উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বিশ্বখ্যাত নাটক "এ কমেডি অফ এরর'স" থেকে শুরু করে ব্রিটিশ টিভি ব্যক্তিত্ব জন ক্লিসের অনুষ্ঠান "ফল্টি টাওয়ার্স" পর্যন্ত বেশিরভাগ জনপ্রিয় কমেডি তৈরি করা হয়েছে ভুল আর ভুল বোঝাবুঝির ওপর ভিত্তি করে। কারণ একটু দূর থেকে দেখলে , ভুলগুলোকে বেশ হাস্যকর মনে হতে পারে। হয়তো একদিন আপনি উদ্ভট পোশাক পরে আছেন। আর সেদিনই বাড়ির দরজায় তালা পড়ে গেল। তখনই দেখা হয়ে গেল পছন্দের কারো সঙ্গে। তাৎক্ষণিকভাবে পুরো ব্যপারটায় বিব্রত হলেও কিছুদিন পর এই কথাটা ভেবেই আপনি খিলখিল করে হেসে উঠবেন। আরো পড়তে পারেন: কেনাকাটায় আর ক্যাশ কাউন্টারের প্রয়োজন নেই গুহায় আটকে পড়লে কী করতে হবে? মেক্সিকোতে সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে এক বিধবার লড়াই
গবেষকদের মতে, কখনো কখনো ভুল করা ভালো
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোন মামলার রায় হল। তারপরেও ভাই হত্যার বিচারের দাবি থেকে তারা সরে আসেননি। অবশেষে সাড়ে ছয় বছর পর সেই মামলার রায় হয়েছে। ২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে মোহাম্মদ জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৯ই সেপ্টেম্বর ৫ জন আসামীর মধ্যে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর দুই জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে নির্যাতন এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোন মামলার রায় হল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর বিচার প্রাপ্তিতে কি ধরণের চ্যালেঞ্জ পার করতে হয়েছে ঢাকার ইরানি ক্যাম্পের এই বাসিন্দাকে? বিবিসি বাংলার কাছে সেই বর্ণনা তুলে ধরেছেন মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি। সেদিন যা ঘটেছিল ২০১৪ সালের আটই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মিরপুর এগারো নম্বরের ইরানি ক্যাম্পে আমার ভাইয়ের বন্ধু বিল্লালের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানে আমরা সবাই ছিলাম। একপর্যায়ে সেখানে পুলিশের দুইজন সোর্স এসে মদ খেয়ে এসে মেয়েদের সঙ্গে উশৃঙ্খলা করছিল। তখন সেখানে সবাই মিলে তাদের বুঝিয়ে বের করে দেয়া হয়। একটু পরে তারা আবার এসে একই ধরণের আচরণ করে। তখন সোর্স সুমনকে একটি থাপ্পড় দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তখন সে বলে, একটু পরে এসে তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি। এর কিছুক্ষণ পরেই এসআই জাহিদের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০জনের মতো পুলিশ সদস্য এসে আমাদের স্টেজ ভাংচুর করতে শুরু করে। সেই সময় লোকজনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে আমাদের দুই ভাইকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের বিয়ের আসরের আরও তিনজনকে ধরে এনেছে দেখতে পাই। আরো পড়তে পারেন: সেখানে আমাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। দোতলার পিলারের কলামের সাথে আমাদের বেঁধে সাত আটজন পুলিশ সদস্য মিলে আড়াই ঘণ্টা ধরে মারে। কয়েকটা ষ্ট্যাম্প ভেঙ্গে যায়। যখন পানি চাই, বুকের ওপর পা দিয়ে মুখে থুথু দিয়ে দেয়। মারধরের একপর্যায়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের কাছের আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের কথায় ডাক্তার ব্যথার ওষুধ দিলে আমাদের এনে হাজতে ভরে রাখে। ভাইয়া বুকের ব্যথায় ছটফট করছিল। দুই ভাইর এমন অবস্থা ছিল যে, কেউ কাউকে একটু সাহায্যও করতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে তারা ভাইয়াকে বের করে নিয়ে যায়। পরদিনে জোহরের নামাজের পর বাকি চারজনে হাজত থেকে বের করে একটা গাড়িতে তুলে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। তখনো আমরা ভাইয়ার কোন খোঁজ জানি না। আমাদের নিয়ে কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে থাকে আর ফোনে কার কার সঙ্গে যেন আলোচনা করতে থাকে। তারা আমাদের গুম করার চেষ্টা করছিল। এদিকে আমাদের ধরে নিয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশ সেটা স্বীকার করেনি বলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে যায়। তখন গুম করতে না পেরে আমাদের আদালতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মোহাম্মদ জনি ভাইয়ের মৃত্যু কারাগার থেকে এলাকায় এসে দেখি, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চারদিকের রাস্তা আটকে রেখেছে। বাঁশ সরিয়ে আমার বাড়িতে যখন যাই, দেখি আমার ভাইয়ের জানাজার প্রস্তুতি চলছে। আমার মাথায় যেন পুরো বিশ্ব ভেঙ্গে পড়ে। একদিকে ভাইকে কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হয়, আর আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মামলা পরের দিন আমার মা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং পুলিশ নিজেরা বাদী হয়ে মামলা করে যে, দুই দলের সংঘর্ষে আমার ভাই জনি মারা গেছে। পরে আমার আম্মু ব্লাস্টের সহযোগিতায় ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে একটি মামলা করেন। তখন পুলিশ বাদী এবং আম্মু বাদী- দুইটা মামলায় তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেয়া হয়। তখনো আমি অসুস্থ । তারপরেও পুলিশ কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিবি অফিস, এমন কোন জায়গা বাদ নেই যেখানে আমি সাক্ষী দিতে যাইনি। সবাই সান্ত্বনা দিতেন যে, তোমার ভাইয়ের বিচার হবে। পুলিশের সাথে আসামী একদিন ডিবি অফিসে গিয়ে দেখতে পাই, মামলার তদন্তকারীর সঙ্গে বসে একসঙ্গে ক্যান্টিনে খাবার খাচ্ছে এসআই জাহিদ। যিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন, তিনিই যদি আসামীর সঙ্গে বসে খান, তাহলে কীভাবে তিনি নিরপেক্ষ রিপোর্ট দেবেন? আবার মামলা মহিলা আইনজীবী সমিতির সহায়তায় আমি ২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনটির কথা জানতে পারি। তখন আমি এই আইনে আদালতে আরেকটা মামলা করি। সেই মামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেয়া হয়। সেই তদন্তে সব সাক্ষীরা বক্তব্য দেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ১৭ই এপ্রিল অভিযোগ গঠন করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: শ্রীলংকার শর্ত মেনে টেস্ট খেলতে যেতে নারাজ বাংলাদেশ যে চারটি অভিযোগে কুয়েতে বিচার হতে যাচ্ছে এমপি পাপুলের সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল বৃদ্ধি, বাংলাদেশের উদ্বেগ বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার ভাইরাল ছবি নিয়ে কী বলছেন মা ইমতিয়াজ হোসেন রকি মামলা প্রত্যাহারে চাপ বিচার শুরু হওয়ার যেন আমার আসল যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথমে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীদের আমাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। আমাকে তাদের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি, ভয়ভীতি দেখানো হয় যে, আমি যদি পুলিশ সদস্যদের মামলা থেকে বাদ না দেই, আপোষ না করি, তাহলে তুমি ভাবতে পারবে না যে কত ক্ষতি হবে। বাংলাদেশে কি কখনো দেখছো পুলিশের বিচার হয়েছে? তারা বলতো, তোমার একটা টাকাপয়সার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। জনির দুইটা সন্তান আছে, তাদের যেন একটা ভবিষ্যৎ হয়। মামলার আসামী এসআই জাহিদ আপোষ করার জন্য আমাকে ২০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল। মামলা তুলে নিলে এসআই রশিদুল, মিন্টুসহ সব আসামী মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা যখন আমাকে কিনতে পারেনি, তখন আমাদের সাক্ষীদের কিনে নেয়ার চেষ্টা করেছে। এসব বিষয়ে আমি গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। ১০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হয়তো দুইজন খবর প্রকাশ করতো। তারা যখন আমাকে, সাক্ষীদের কিনতে পারলো না, তখন তারা হাইকোর্টে রিট করে মামলাটা স্থগিত করিয়ে দিল। তখন আমি তো পুরো ভেঙ্গে পড়লাম। আমার তো হাইকোর্টে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। তারপরেও সাহস নিয়ে এগোলাম। কিন্তু সেখানে মামলার ফাইলিং, উকিল ধরলেই একলাখ টাকা লাগে। আমি গরীবের সন্তান, বাপ নেই, থাকি ক্যাম্পের ভেতর ছয় ফিট বাই ছয় ফিট ঘরের ভেতর। এর ভেতর আমি এতো টাকা কই পাবো? আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতাম। হাইকোর্টের আদেশ তখন ব্লাস্টের মাধ্যমে সারা আপার ( ব্যারিস্টার সারা হোসেন) সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি বিনা পয়সায় আমাকে আইনি সহযোগিতা করলেন। দেড় বছর দৌড়াদৌড়ি করার পর পুনরায় মামলার কার্যক্রম চালু হওয়ার রায় পেলাম। হাইকোর্ট আদেশে বলেছিলেন, ১৮০ দিনের মধ্যে যেন মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চারমাসেও হাইকোর্টের সেই আদেশের কাগজ জজ কোর্টে কেন যেন পৌঁছায়নি। পরে আমি এটি গণমাধ্যমের ভাইদের জানালাম। বিভিন্ন কাগজে খবর বের হলো। তার দুইদিন পরেই সেই কাগজটা আদালতে পৌঁছে যায়। এরপর আবার বিচার শুরু হয়। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন। অবশেষে গত নয়ই সেপ্টেম্বর আমার ভাইয়ের হত্যার বিচারের রায় পেলাম। তবে একটা কথা বলতে চাই। আমি কিন্তু পুরো পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করিনি। আমি করেছি তখনকার পুলিশ অফিসার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যে পুলিশের পোশাক পরে অপরাধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি, বিচার পেয়েছি।
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিচার: 'ভয়ভীতি দেখানোর পর তারা ২০ লাখ টাকায় আপোষের প্রস্তাব দিয়েছিল'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ দফতরের প্রধান মার্ক লোকক বলেন, সহিংসতার পরও মিয়ানমারের রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা এখনো রয়ে গেছে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে মি লোকক জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামবে বলে আশংকা করছেন তারা। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত অগাস্ট মাস থেকে রাখাইনে এই সহিংসতা শুরু হয়। গত ছ'সপ্তাহে এটি এক বড় রকমের মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। মি. লোকক বলেন, জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মিয়ানমারে যেতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর এখনও পুড়ছে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল আইক্যান জেনেভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, তবে ওই কর্মকর্তাকে রাখাইনে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে সেটা পরিস্কার নয়। এর আগে জাতিসংঘের তরফে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধন অভিযানের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা সন্ত্রাসীদের দমন করার চেষ্টা করছে। বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর উপর জঙ্গিদের হামলার পরই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই কঠোর অভিযান শুরু হয়। উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের চারশোরও বেশি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ দফতরের প্রধান মার্ক লোকক তার কর্মকর্তাদেরকে রাখাইনে যেতে দেওয়ার জন্যে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আসা এখনও বন্ধ হয়নি। এখনও হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের ভেতরে অবস্থান করছে। আর সেকারণে শরণার্থীদের ঢল যদি আবারও নামে, তার জন্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।" মিয়ানমারের সরকারি বার্তা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, আরো বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত। এজন্যে তারা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতির পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য ও খাদ্য সঙ্কটের কথা উল্লেখ করেছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ইনজুরিতে ভুগছেন। যাদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো বড় ক্রিকেটারের নাম রয়েছে। এশিয়া কাপের পর শোনা যাচ্ছিলো যে অনেকটা আনকোরা একটি দল দেয়া হতে পারে এবারের সিরিজে। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন, এখানেসবকিছু মিলিয়ে সেরা দলটি নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ র‍্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: জন্মদিনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর বাংলাদেশের বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি মামলার মোড় ঘুরিয়েছিল এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন লিটন দাস লিটন দাস চারদিনের একটি ক্রিকেট ম্যাচে ১৪২ বলে ২০৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। মারকুটে এই ইনিংসে ৩২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা হাকিয়েচেন তিনি। রাজশাহীতে রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচে রংপুরের হয়ে এই ইনিংস খেলেন লিটন। তবু কতটা শক্তিশালী দল গঠন করা সম্ভব? "যেহেতু দুজন খেলোয়াড় এখন পুরোপুরি ইনজুরিতে আছেন, সে হিসেবে দল সাজানো হচ্ছে, তবে টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে আমাদের এখন খেলোয়াড় আছে, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ভালো ক্রিকেটারদেরই নেয়া হবে," বলছিলেন মি: নান্নু। তবে কিছু নতুন খেলোয়াড় নেয়ার কথাও বলেছেন প্রধান নির্বাচক। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, "চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত নাম বলা যাবে না, তবে কিছু তো নতুন মুখ থাকবেই, তিনটি ম্যাচ রয়েছে, তিনটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।" সেক্ষেত্রে মিজানুর রহমান ও শাদমান ইসলামের মতো নামগুলো আসতে পারে স্কোয়াডে। বাংলাদেশের উদীয়মান একজন ক্রিকেটার শাদমান ইসলাম দল ঘোষণার বিষয়ে আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখছে নির্বাচক প্যানেল। মি: নান্নু বলেন, যেহেতু প্রথম শ্রেনির খেলা চলছে, এজন্য একটু আগেভাগে স্কোয়াড দেয়া হবে। কারণ জাতীয় লিগের অন্যান্য দলগুলোতে প্রভাব না পড়ে। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে দলের জন্য ১৩ জনকে রেখে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে। এশিয়া কাপের দল থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা বলেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তবে সেটা প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মি: নান্নু। তিনি বলেন, "ফোর ডে ম্যাচের সাথে ওয়ানডের পার্থক্য রয়েছে, তাই এখানে ভালো পারফর্ম করলেই যে নেয়া হবে ব্যাপারটা এমন নয়।"
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল: পরীক্ষা-নিরীক্ষা নাকি শক্তিমত্তা?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে সতর্কতার সাথে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। নতুন ভাইরাস সম্পর্কে বিবিসির কাছে পাঠানো পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্ন থেকে কয়েকটি বেছে নিয়ে সেগুলোর উত্তর দেয়া হল। যেসব দেশে বিমান চলাচল বন্ধ হয়নি, তাদের দেশের ভেতরে কিংবা দেশের বাইরে ভ্রমণ করা কতটা নিরাপদ? - জেসন রিচেস, কোলচেস্টার এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুধুমাত্র চীনে ছড়িয়ে পড়েছিল এমন মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই মুহূর্তে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৯৯% শতাংশই ঘটনাই ঘটেছে চীনে এবং এর বেশিরভাগই কেবল একটি প্রদেশে (হুবেই)। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমনওয়েলথ দফতর হুবেই প্রদেশে সব ধরণের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া চীনের মূল ভূখণ্ডে খুব প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে তারা। তবে চীন এখন পর্যন্ত অন্য কোনও দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেনি। চীনা চিকিৎসক, যার বয়স কিনা ত্রিশের কোঠায়। তিনি কীভাবে এই 'ফ্লু-জাতীয়' ভাইরাসে মারা গেলেন? আমি ভেবেছিলাম কেবলমাত্র শিশু ও বয়স্করাই কি এই ঝুঁকির মধ্যে আছেন?- জেফ্রি এমন হতে পারে যে চীনা চিকিৎসক ড. লি এর অন্য, অপ্রকাশিত, স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল যা তাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল অথবা তিনি অনেক বেশি মাত্রায় ভাইরাসটির সংস্পর্শে এসেছিলেন যার কারণে হয়তো তার লক্ষণগুলোও আরও মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছিল। তবে এটিও মনে রাখার মতো বিষয় যে মৌসুমি ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যান, তাদের বেশিরভাগই বয়সে শিশু এবং প্রবীণ। তবে তরুণ বয়সীরাও এতে প্রাণ হারাতে পারেন। আরও দেখতে পারেন: করোনাভাইরাসের খবর ফাঁসকারী সেই চীনা ডাক্তার মারা গেছেন করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য চীনের লোকেরা বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন গেট টাওয়ারের কাছে মাস্ক পরে ঘুরছেন। মাস্ক কী কার্যকরভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে এবং এটি কতবার পরিবর্তন করতে হয়? টম লিম, বালি, ইন্দোনেশিয়া মুখে মাস্ক পরলেই যে ভাইরাস প্রতিরোধে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা যাবে, এমন খুব কম প্রমাণ আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। যেমন নিয়মিত আপনার হাত ধোয়া এবং অবশ্যই মুখের কাছে হাত আনার আগে সেটি ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়া - এ ধরণের অভ্যাস মাস্কের চাইতেও অনেক বেশি কার্যকর। করোনাভাইরাসের জন্য ইনকিউবেশন সময়কাল বা সুপ্তিকাল কী? - জিলিয়ান গিবস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, ইনকিউবেশন পিরিয়ড অর্থাৎ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এর লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ের পরিধি দুই থেকে ১০ দিনের মতো হয়ে থাকে। বর্তমানে তথ্য আরও সহজলভ্য হওয়ার কারণে এ বিষয়ে আরও নির্দিষ্টভাবে অনুমান করা যাবে। ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সুপ্তিকাল সম্পর্কে জানা এবং বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওই ইনকিউবেশন সময়ের মধ্যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর উপায় বের করার সময় পান। অর্থাৎ তারা আরও কার্যকর কোয়ারান্টিন ব্যবস্থা চালু করতে পারে। যেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন মানুষদের আলাদা করে রাখা হয়, যেন তাদের মধ্যে ভাইরাস সনাক্ত হলেও সেটা অন্য কারও মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন তারা কি পুরোপুরি সুস্থ হতে পেরেছেন? - ক্রিস স্টেপনে, মিল্টন কেইনস হ্যাঁ। যারা করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই কেবল হালকা কিছু লক্ষণ অনুভব করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা। বেশিরভাগ লোকেরা সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এটি প্রবীণ ব্যক্তি বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, যেমন ডায়াবেটিস বা ক্যান্সার অথবা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বড় ধরণের ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। ফেব্রুয়ারির আট তারিখ পর্যন্ত হিসাব দেখিয়ে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৭২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জনের। এছাড়া চীনের বাইরে আরও ২৫টি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০ জনের মতো। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, কারও মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের হালকা কিছু লক্ষণ দেখা যায় তাহলে তার পুরোপুরি সেরে উঠতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। চীনের উহান শহর থেকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো জিনিসপত্রের মাধ্যমে কি করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে? - স্টেফান জিনিসপত্রের মাধ্যমে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে-এমন কোনও প্রমাণ নেই। তবে, করোনাভাইরাস এবং সার্সসহ কিছু রোগ মানুষের হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে নতুন করোনাভাইরাস এভাবে ছড়ায় কিনা সেটা এখনও বলা হয়নি। যদি ভাইরাসটি এভাবে ছড়ায়, তাহলে আন্তর্জাতিক পণ্য আনা-নেয়ায় বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। শীতল ভাইরাসগুলো মানুষের দেহের বাইরে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় বাঁচে। যদিও কনোরোভাইরাস (অন্ত্রের একটি গুরুতর পোকা) শরীরের বাইরে কয়েক মাস টিকে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আশ্বস্ত হওয়ার মতো বিষয় হল, এই ভাইরাসটি ছড়াতে হলে অন্য ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসতে হবে, বলেন একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? চীন থেকে এই জাতীয় ভাইরাস উদ্ভব হওয়ার কোনও কারণ আছে কি? - গৌতম হ্যাঁ। কারণ ওই দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ বিভিন্ন প্রাণীদের সান্নিধ্যে বাস করে। অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় এই করোনাভাইরাসটি একটি প্রাণী থেকে এসেছে। অনেকে বলছেন এটির উৎস সাপ। সার্সের মতো আরেক ধরণের করোনাভাইরাস যা চীনে উদ্ভূত হয়েছিল। যার উৎস ছিল বাদুড় এবং সিভেট ক্যাট (গন্ধগোকুল)। নতুন এই ভাইরাসটির সংক্রমণের প্রাথমিক ঘটনাগুলো ঘটেছে দক্ষিণ চীনে সামুদ্রিক মাছের পাইকারি বাজার এলাকায়। যেখানে মুরগি, বাদুড় এবং সাপসহ আরও নানারকম জীবন্ত বন্য প্রাণী বিক্রি করা হত। এই শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা রোধ করার জন্য কি টিকা দেওয়া সম্ভব? - হান্স ফ্রেডরিখ এই মুহূর্তে, এমন কোনও টিকা নেই যা এই ধরণের করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে, তবে গবেষকরা এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। এটি একটি নতুন ধরণের নমুনা যা আগে কখনও মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি, যার অর্থ ডাক্তারদের এখনও এটি সম্পর্কে অনেক গবেষণা করতে হবে।
করোনাভাইরাস: টিকা আছে কি? আক্রান্তরা পুরো সেরে উঠছেন কি? এবং অন্যান্য নির্বাচিত প্রশ্ন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
নতুন 'মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা দিচ্ছেন এলডিপি নেতা অলি আহমেদ যদিও তারা এটিকে জোট বলতে চাচ্ছেন না এবং বলছেন যে, তারা এখনো ২০ দলীয় জোটে রয়েছেন। তবে ২০ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ২০ দলীয় জোটের তুলনামূলক ছোট শরীকদের নিয়ে নতুন এই ফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমেদ। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে দেয়া তাঁর ঘোষণার মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন, খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রধান দাবী হিসাবে রয়েছে। কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলছেন, ''আমাদের কর্মসূচী হবে শান্তিপূর্ণ, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং জনগণের সরকার গঠন করার জন্য আমরা কাজ করবো।'' এই মঞ্চের আরেক সদস্য কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলছেন, ''জাতীয় নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় বা পরে থেকে যেভাবে ২০ দলীয় জোট চলছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট না। আমাদের মতে, খালেদা জিয়ার মুক্তি বা নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের আরো অনেক কিছু করার আছে।'' ''সে কারণেই আমরা কয়েকটি দল উদ্যোগী হয়ে এই কর্মসূচী নিয়েছি, যাকে আমরা নাম দিয়েছি 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ'।'' বলছেন মি. ইবরাহিম। তবে আমন্ত্রণ পেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আসার সময়েও নতুন 'মঞ্চ' গঠনের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না বলে জানান। তবে ঘোষণার পর মঞ্চের কর্মসূচীর ব্যাপারে তারা একমত হয়েছে, বলছেন মি.ইবরাহিম। আরো পড়ুন: বিএনপির ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ কী যে কারণে ২০ দলীয় জোট ছাড়লো বিজেপি অলি আহমেদের সঙ্গে নতুন 'মঞ্চের' ঘোষণার সময় মঞ্চে ছিলেন কল্যাণ পার্টিসহ আরো কয়েকটি দলের নেতারা এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলছেন, ''২০ দলীয় জোট হচ্ছে একটি নির্বাচনী জোট, যেখানে বিএনপি ছাড়াও আরো অনেক দল রয়েছে। তাদের নিজস্ব নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। তারা যদি দলগতভাবে বা অন্যদের সাথে মিলে কোন কর্মসূচী নেয়, সেটা তাদের ব্যাপার।'' ''আমাদের নীতির সাথে বিরোধিতা তৈরি না হলে আমাদের তো এ বিষয়ে কিছু বলার থাকে না।'' তিনি বলছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, নতুন এই 'মঞ্চ' কীভাবে কাজ করে, সেটির দিকেও তাদের নজর থাকবে। ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি এবং কল্যাণ পার্টি ছাড়াও এই মঞ্চে রয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, খেলাফত মজলিস এবং ন্যাশনাল ওলামা মুভমেন্ট। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'চিৎকার করেছি, সবাইকে বলেছি - ওরে বাঁচান' যেভাবে নারী বিশ্বকাপ হারিয়ে দিচ্ছে পুরুষদের 'ঢাকায় ৩০% রিকশাচালকই জন্ডিসে আক্রান্ত' ই-সিগারেট: স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ
নতুন 'মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা ২০ দলীয় জোটের শরিক কয়েকটি দলের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জনপ্রিয় কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে 'জোক' বা তামাশা করা তার উচিত হয়নি। নোয়াহ একজন দক্ষিণ আফ্রিকান কমেডিয়ান, রেডিও ও টেলিভিশন উপস্থাপক এবং অভিনেতা। বর্তমানে তিনি মার্কিন কেবল টেলিভিশন চ্যানেল কমেডি সেন্ট্রালের রাতের ভুয়া সংবাদের অনুষ্ঠান 'দ্য ডেইলি শো উপস্থাপনা করেন। দ্য ডেইলি শো অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, দু'দেশের (ভারত ও পাকিস্তানের) মধ্যে একটি যুদ্ধ হবে 'খুবই আমোদের বিষয়" বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, "এটি হতে যাচ্ছে যেকোন সময়ের তুলনায় দীর্ঘতম যুদ্ধ---আরেকটি ড্যান্স নাম্বার।" একথা বলার সময় পাঞ্জাবি গান গেয়ে বলিউড নায়কের ভঙ্গিমায় নেচে দেখাচ্ছিলেন নোয়াহ। আর এই মন্তব্যের কারণে ভারতে তীব্র সমালোচনার শিকার হন তিনি। টু্ইটারে বহু ভারতীয় বিষয়টি নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ইতোমধ্যে দুইটি যুদ্ধ এবং কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজের বলে দাবী করে আসছে এবং উভয়ই কাশ্মীরের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিতর্কের সূত্রপাত দ্য ডেইলি শোতে গত সপ্তাহে হাজির হয়ে নোয়াহর করা ঐ মন্তব্যকে অনলাইনে 'বর্ণবাদী' এবং 'অসহিষ্ণু' বলে সমালোচনা করেছেন বহু মানুষ। আরো পড়তে পারেন: ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? যেভাবে কাশ্মীরে আটক হয়েছিলেন ভারতীয় পাইলট ভারত ও পাকিস্তানে আটকে পড়া মানুষের আত্মীয় পরিজন যারা দেশের বাইরে অপেক্ষা করছেন, বিশেষ করে ভারতীয় অ্যামেরিকান নাগরিকেরা, নোয়াহর মন্তব্যকে রীতিমত আপত্তিকর বলে বর্ণনা করেছেন। বলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ট্রেভরের সমালোচনা করেন। যুদ্ধের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করার কারণে এর আগেও নোয়াহ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। নোয়াহর দুঃখপ্রকাশ টুইটারে এক পোস্টে নোয়াহ বলেছেন, "আমার মন্তব্যে আপনারা আহত হয়েছেন, সেজন্য আমি দুঃখিত। আমার উদ্দেশ্য মোটেই তা ছিল না।" নোয়াহ বলেছেন, কমেডি করে তিনি 'কষ্ট, যন্ত্রণা ও অস্বস্তি মোকাবেলা' করেন। তিনি জানান, "আমার মাকে যখন মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, আমি সেটা নিয়েও কমেডি করেছি।" তবে, তার করা কমেডি ভারত পাকিস্তান উত্তেজনার মতই অনলাইনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সেটা দেখে তিনি অভিভূত বলেও মন্তব্য করেছেন। পাল্টাপাল্টি অনলাইন যুদ্ধ নোয়াহর মন্তব্যে অনেকে যেমন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তেমনি অনেকে আবার বলেছেন যে তার বক্তব্য নিয়ে এত মাতামাতি করাও ছিল 'অপ্রয়োজনীয়'। সেই সঙ্গে অনেকেই ঐ দিনের শোটিকে উপভোগ্য ছিল বলেও রায় দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে টুইটারেই ভারতকে নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক বেশি চলে। যেকারণে নোয়াহর এই বিষয়টি নিয়েও এখানেই আলোচনা বেশি হয়েছে। আর রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গ করার চল ভারতে তেমন একটা নেই। যে কারণে তার ওপর ক্ষেপেও গেছেন দেশটির অনেকে। ফেসবুকে 'হিউম্যানস অব হিন্দুত্ব' নামে একটি পেজ রীতিমত নোয়ার বিরুদ্ধে অনলাইনে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এদিকে, ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সমর্থন করে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর পাকিস্তানে তার বিরুদ্ধে নানা প্রচারণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিসেফের 'গুডউইল অ্যাম্বাসেডর' পদ থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সরিয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীর সংকট কীভাবে বাড়লো ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারত তাদের ভাষায় পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত শাসিত কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০জন ভারতীয় সেনা নিহত হবার ঘটনার জবাব হিসেবে ভারত ঐ হামলা চালায়। আরো দেখুন: কাশ্মীরের উভয় প্রান্তের দৃশ্য বিবিসির চোখে
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সবচেয়ে বেশি জাল হয় ১০০০, ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট। এর একটা বড় অংশই হয়ে থাকে কাগজের নোটের মাধ্যমে, আর ঠিক এই সময়গুলোতেই আশংকা থাকে জাল নোট কারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার। তাই অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাংলাদেশে সাধারণত সবচেয়ে বেশি জাল করা হয় ১০০০, ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট। নিরাপদ অর্থ লেনদেনের পরামর্শ "যদি বড় অংকের লেনদেন হয় তাহলে সেটা অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে করুন" - এ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তবে যদি নগদে লেনদেন করতেই হয় - তাহলে প্রতিটি নোট ভালভাবে যাচাই করার পাশাপাশি প্রয়োজনে জাল নোট সনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এসব প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো 'মানি কাউন্টিং মেশিন।' তবে এটি বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানই ব্যবহার করে থাকে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর ব্যবহার দেখা যায় না। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন, নগদ লেনদেনের চাইতে নিরাপদ। তবে কুরবানির ঈদে গরুর হাটে যেহেতু বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নগদে অর্থ লেনদেন করে থাকে। তাই জাল টাকা রোধে নিরাপত্তাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তারা দেশের প্রতিটি হাটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন - জানান মি. ইসলাম। সেখানে মানি চেকার মেশিনের পাশাপাশি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সুযোগ রাখা হয়েছে সেইসঙ্গে সচেতনতামূলক পোস্টার টানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাল নোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মানি চেকার মেশিন বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য। এটি নীল আলোর সাহায্যে নোটের নিরাপত্তা যাচাই করে থাকে। এছাড়া রয়েছে ব্যাংক নোট চেকার পেন। এই কলমটি দিয়ে যদি জাল নোটে দাগ কাটা হয়, তাহলে ভিন্ন রং দেখাবে। খালি চোখে আসল নোট চেনার একটি সহজ উপায় হল জলছাপ দেখা। খালি চোখে ব্যাংক নোট যাচাই করবেন কীভাবে? সাধারণ কয়েকটি নিরাপত্তা চিহ্নের ব্যাপারে খেয়াল রাখলে যে কেউ আসল নোট চেনার ব্যাপারে সতর্ক হতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, আসল নোটের কিছু বৈশিষ্ট্য প্রথমত অমসৃণ ইন্ট্যাগলিও মুদ্রণের বিষয়টি লক্ষ্য করা। বাংলাদেশের ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডানপাশে হেলানো ৭টি সমান্তরাল লাইন থাকে। হেলানো লাইনের নীচে বৃত্তাকার ছাপ দেখা যায়। ১০০০ টাকার নোটে ৫টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০ টাকার নোটে ৩টি বৃত্তাকার ছাপ থাকে। এই সমান্তরাল লাইন, বৃত্তাকার ছাপ এবং পেছনে সামনে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা ইন্ট্যাগলিও পদ্ধতিতে মুদ্রণ করায় এগুলো অমসৃণ অনুভূত হবে। আসল নোটের সমান্তরাল লাইন, বৃত্তাকার ছাপ অমসৃণ হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত প্রতি নোটের বাম পাশে থাকা নিরাপত্তা সূতার দিকে নজর দিতে হবে। নিরাপত্তা সূতা হলোগ্রাফিক এবং রং পরিবর্তনশীল হয়। নোট নাড়াচাড়া করলে এর রং বদলাবে এবং ছোট ছোট বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটি উঠবে। তবে ১০০০ টাকার লাল নোটটি আলোর বিপরীতে ধরলে নিরাপত্তা সূতায় '১০০০ টাকা' লেখা দেখা যাবে। সূতাটি নোটে এমনভাবে গাঁথা থাকে যে ধারালো কিছু দিয়ে ঘষলেও উঠে আসবেনা। জাল নোটে এটা আঠা দিয়ে লাগানো থাকায় সহজেই উঠে আসে। আসল নোটের নিরাপত্তা সুতা। তৃতীয়ত খেয়াল করতে হবে নোটের জলছাপগুলো। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত নোটগুলো আলোর বিপরীতে ধরলে শেখ মুজিবের ছবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং উজ্জ্বলভাবে নোটের ইংরেজি মূল্যমান দেখা যাবে। তবে লাল রঙের ১০০০ নোটের ক্ষেত্রে শাপলা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম দেখা যাবে। এছাড়া উজ্জ্বল মূল্যমানটি থাকবে শহীদ মিনারের ছবির উপরের দিকে। নোটের ডানদিকের কোনায় থাকা টাকার অংকটি রং পরিবর্তনশীল কালিতে ছাপানো থাকে। চতুর্থত নোটের ডানদিকের কোনায় থাকা টাকার অংকটি রং পরিবর্তনশীল কালিতে ছাপানো থাকে। এই মূল্যমান অপটিক্যাল ভ্যারিয়েবল কালিতে মুদ্রিত হওয়ায় সেটা অমসৃণ হবে, সেইসঙ্গে নাড়াচাড়া করলে রঙ বদলাবে। ১০০০ টাকার নোটের পেছনের বাম অংশে আড়াআড়িভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটি হালকাভাবে মুদ্রিত দেখা যাবে। যেটা নাড়াচাড়া করলে বোঝা যাবে। এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতিতে আসল নোট চেনার উপায় আছে। যেমন লুকানো লেখা, খুব ছোট আকারে লেখা, ইত্যাদি। এটিএম বুথ। এটিএম বুথে জাল নোট পেলে কী করবেন অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে এটিএম বুথগুলোকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করা হলেও গত বছর মিরপুরের বাসিন্দা মিজান রহমান বুথ থেকে একটি জাল নোট পান। তবে ব্যাংকের কাছে বিষয়টি প্রমাণ করতে পারায় তিনি টাকাটি ফেরত পেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম তিনটি উপায়ে বুথ থেকে জাল টাকা হাতে পাওয়ার বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহের কথা বলেছেন। প্রথমত, নোটের নম্বরটি বুথের সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দেখাতে হবে। এরপর বুথের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে বিষয়টি অবহিত করে তাদের সঙ্গে থাকা খাতায় নোটের নম্বর, বিবরণ ও অভিযোগের বিষয়টি লিখে আসতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে এবং কোন বুথে কবে কোন সময় টাকাটি তুলেছেন সেটা জানাতে হবে। এটিএম বুথ। জাল নোটের বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের চার হাজারেরও বেশি জাল নোট ধরা পড়েছে - যার মোট মূল্য ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৩শ টাকা। জাল নোটের বিরুদ্ধে শক্ত কোন আইন না থাকায় এর বিস্তার রোধ করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন মিঃ সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব জাল নোটের লেনদেনে কোন সাক্ষী থাকেনা। আবার সাক্ষী থাকলেও তারা আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে চান না। এ কারণে তাদেরকে বিচার করা সম্ভব হয়না। সহজেই ছাড়া পেয়ে যায় এবং আবার একই চক্রে জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে জাল নোট বিস্তার রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের প্রতি জোর দেন তিনি। প্রচলিত আইনানুযায়ী জাল নোট যার হাতে থাকে তাকেই বিচারের আওতায় আনা হয়। তাই কোন নোটের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ হলে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা অন্য যেকোনো ব্যাংকে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন মি. সিরাজুল ইসলাম। তবে ওই জাল নোটের বিপরীতে আপনার আসল নোট ফেরত পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই এ ধরণের খেসারত দিতে না হলে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা ও সচেতনতার ওপরই জোর দিয়েছেন মি. ইসলাম। আরও পড়তে পারেন: কতদূর গড়াতে পারে গ্রামীণ-রবি-বিটিআরসি দ্বন্দ্ব? এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মীদের কী নিরাপত্তা আছে? এটিএম বুথ: কতভাবে হ্যাক হতে পারে?
ঈদের আগে কুরবানির হাটে জাল টাকা থেকে সাবধান থাকবেন কীভাবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
শাইস্তা অম্বর শেষমেশ অবশ্য পেলেন একটা মসজিদের খোঁজ। তবে মিসেস অম্বরের ছেলেকে মসজিদের ভেতরে ডেকে নিলেও ইমাম তার মাকে মসজিদের দরজা থেকে সরে যেতে বলেছিলেন। "আমার স্বামী সরকারি চাকরি করতেন। সেই সময়ে অন্য জায়গায় বদলি হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি ভেবেছিলাম ছেলেকে নিয়ে গিয়ে নামাজ পড়িয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু যেভাবে ছেলেকে ভেতরে নিয়ে গেলেও আমাকে মসজিদের দরজা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল, তাতে খুব অপমানিত মনে হয়েছিল। তখনই ঠিক করেছিলাম যে নারীদের জন্য মসজিদ হওয়া দরকার," বিবিসিকে বলছিলেন মিসেস অম্বর। যখন তিনি নারীদের জন্য আলাদা মসজিদ তৈরির চেষ্টা শুরু করলেন, তখন বাইরে থেকে তো হুমকি - ধমকি দেওয়া হতই, এমনকি স্বামী বা বাবার সঙ্গে তর্ক বেঁধে যেত মিসেস অম্বরের। ২০০৫ সালে অম্বর মসজিদ তৈরির কাজ শুরু করেন শাইস্তা অম্বর তিনি বলছিলেন, "কতবার যে আমার গাড়ির চাকা ফুটো করে দেওয়া হয়েছে! তবে একটাই ভরসা ছিল মনে মনে - যা করছি, সেটা উপরওয়ালা নিশ্চই বুঝতে পারছেন।" জমি কিনে ২০০৫ সালে অম্বর মসজিদ তৈরি হয় লখনৌতে। প্রথমে শুধুই নারীরা নামাজ পড়তে আসতেন, তবে পরে পুরুষরাও এখন এখানে নামাজ পড়েন। শাইস্তা অম্বর অবশ্য শুধু নারীদের জন্য মসজিদ বানিয়েই থেমে থাকেন নি। তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি সমান তালে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-এর সঙ্গে তিন তালাক প্রথা নিয়ে বিরোধ বাধায় মিসেস অম্বর আরও কয়েকজনের সহায়তা নিয়ে মুসলিম নারীদের জন্য পৃথক ল বোর্ড তৈরি করে ফেলেছেন - অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ড। মুসলমান নারীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে এই সংগঠনটি। প্রথমে শুধুই নারীরা নামাজ পড়তে আসতেন, তবে এখন পুরুষরাও এখানে নামাজ আদায় করেন। লখনৌয়ের অম্বর মসজিদে গত দশ বছর ধরে প্রতি শুক্রবার বিশেষ শিবির খোলা হয় - যেখানে রেশন কার্ড বিলি থেকে শুরু করে কন্যাশিশুদের স্কুলে পাঠানোর মতো বিষয়গুলি নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। মসজিদের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন পুরুষও মনে করেন যে নারীদের উন্নয়নের জন্য যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয় ওই মসজিদে, সেই পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট প্রয়োজনীয়।
ভারতের লখনৌতে মুসলমান মহিলারা কেন তৈরি করলেন মসজিদ?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ঘুমের রেশ না কাটতেই স্কুল শুরু হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও ছুটছেন ভালো রেজাল্টের দিকে। বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক কিংবা প্রাথমিক পর্যায়ে পড়াশোনার চাপ কতটা আর কেনইবা এ অবস্থা? সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ইশমাম আলভী। পরীক্ষায় সবগুলো বিষয়ে ৯৫ এর উপরে নাম্বার পেলেও শুধু একটি বিষয়ে ৯০ পেয়েছে আলভী। যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি তার অভিভাবকে। তার মা বলছিলেন, "আমি মন খারাপ করেছিলাম। কারণ ছেলের উপর আমার প্রত্যাশা আরো বেশি ছিলো।" কিন্তু অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য প্রতিদিন কী ধরণের রুটিনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের? আলভী বলছিলো, ''পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনার চাপ ছিলো অনেক। প্রতিদিন সকাল ৮টায় স্কুল শুরু হতো। আসতাম দুপুরে। বিকেলে কোচিং থাকতো। রাতে বাসায় পড়তাম। খেলাধূলার সময় পেতাম না।'' বাংলাদেশে বিভিন্ন স্কুলগুলোতে শিশুদের পড়াশোনার জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে, সে ব্যবস্থায় শিশুদের উপর পড়াশোনার চাপ বা বইয়ের বোঝা নিয়ে বিতর্ক বা আপত্তি নতুন কিছু নয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পিঠে পেটমোটা ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে সকাল সকালই শুরু হয়ে গেছে স্কুলের কার্যক্রম। অনেক ক্ষেত্রেই ছোট শিশুদের চোখে ঘুম ঘুম ভাব স্পষ্ট। তাদের বহন করা স্কুলব্যাগই বলে দিচ্ছে প্লে কিংবা নার্সারীতেই এক একটি শিশুকে কি পরিমাণ পড়ার চাপ নিতে হচ্ছে প্রতিদিন। নার্সারী পড়ুয়া শিশুসন্তানকে নিয়ে স্কুলে আসা আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলছিলেন, ''সকালবেলা বাচ্চাকে ঘুম থেকে ওঠাতে, রেডি করতে অনেক কষ্ট হয়। ঘুম থেকে তো উঠতেই চায় না। তারপরও জোর করে নিয়ে আসতে হয়। আর বই খাতাও অনেকগুলো। বাচ্চা তো ব্যাগ তুলতেই পারে না।" বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রাক প্রাথমিকে শিক্ষার স্তর একটি হলেও কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, সেগুলোতে নার্সারী, প্লে, কেজি ওয়ান, কেজি টু'সহ তিন থেকে চারবছর ধরে পড়ানো হয় শিশুদের। আবার এ সময় শিশুদের খেলায় খেলায় মাতৃভাষা, অক্ষর ও সংখ্যার ধারণা দেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে স্কুলগুলোতে শিশুদের গ্রামার এমনকি বিজ্ঞানও পড়ানো হয়। পাঠ্যবই থাকে ৬ থেকে ১২টি পর্যন্ত। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠ্যবই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৩টি। এছাড়া তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই নির্ধারিত আছে ৬টি করে। সরকারি স্কুলগুলো এ কারিকুলাম অনুসরণ করলেও বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ানো হচ্ছে কারিকুলামের বাইরে ৭ থেকে ৮টি করে অতিরিক্ত বই। শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন চান শিক্ষা গবেষক অধ্যাপক নাজমুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ও নির্দেশনা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "স্কুলগুলোতে কেবল পড়াশোনা, পড়াশোনা আর পড়াশোনা। এর বাইরে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু আধুনিক যুগে যারা শিশুদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা হচ্ছে শিশুর বিকাশ হওয়া দরকার। শিক্ষার চাইতে শিশুর বিকাশটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।" সাম্প্রতিককালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষার কারণে হঠাৎ করেই পঞ্চম শ্রেণিতে চাপ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে বেসরকারি সংগঠন গণসাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণায় দেখা যায়, পঞ্চম শ্রেণিতে পিইসি পরীক্ষার কারণে স্কুল, প্রাইভেট টিউশনির বাইরে শুধু বাধ্যতামূলক স্কুল কোচিংয়েই বছরে শিক্ষার্থীদের ব্যয় হয় ৪শ ১২ ঘণ্টা করে। এসব পরীক্ষায় সবকিছু ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছে ভালো ফল। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণিতেও রয়েছে ক্লাস টেস্টসহ নানা পরীক্ষার চাপ। শিশুদের উপর পড়াশোনার চাপ বাড়লে তা শিশুর মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. ফারাহ দীবা বলেন, ''আমরা কখনো চিন্তা করি না যে, একটা বাচ্চাকে যদি আমরা এমন কিছু দেই, যা তা বয়সের উপযোগী না, তাহলে এর ফলাফলটা কী হতে পারে। মানুষের মানসিক বিকাশের নানা রকম ক্ষেত্র আছে। আমরা যদি শিশুদের সব ক্ষেত্রে বিকাশের দিকে নজর না দিয়ে শুধু জ্ঞানবিকাশের দিকে ফোকাস ধরে রাখি, তাহলে পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ হলো না।" প্রাক প্রাথমিকেও শিশুদের বইতে হয় ভারী ব্যাগ তবে স্কুলের শিক্ষকরা আবার অনেক ক্ষেত্রেই পড়াশোনার চাপ বা বাড়তি পরীক্ষার অভিযোগ মানতে চান না। রাজধানীর আজিমপুরে রায়হান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ইমরান সাবেরীন বলছিলেন, "পড়াশোনার চাপ আসলে খুব একটা নেই। একটা বাচ্চাকে চর্চার মধ্যে রাখতে, পড়াশোনার লাইনে রাখতে একটা নির্দিষ্ট পরিবেশ দিতে হবে। পরীক্ষা না থাকলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যা পড়েছে, তা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।" বাংলাদেশে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা বা শিক্ষাদানের প্রক্রিয়ানিয়ে বিভিন্ন সময়ই আলোচনা হয়। শিক্ষা গবেষক অধ্যাপক নাজমুল হক বলছেন, শিশুদের পাঠদানের পুরো পদ্ধতিই নতুন করে ঢেলে শিশু উপযোগী করা উচিত। "শিশু শিক্ষার যে ব্যবস্থাটা আমাদের দেশে রয়েছে, তা যথার্থ নয়। এটার মধ্যে আরো পরিবর্তন আনা দরকার, উন্নতি সাধন করা দরকার। যাতে করে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে পড়তে পারে। এছাড়া পরীক্ষার চাপ থেকে শিশুদের মুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পরীক্ষা থেকে মুক্ত করা যায়।" কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, স্কুলের পড়া আর অভিভাবকদের চাহিদার চাপে পরে আলভীর মতো শিশুদের সোনালী শৈশবটিই হারিয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে। এটা নিয়ে কোন পর্যায়েই দৃশ্যমাণ কোন উদ্যোগও নেই। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনী বছরে 'অরাজক পরিস্থিতি'র আশঙ্কা কেন? প্রতিদিন ৩০০জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার 'যেভাবে সন্তানের বাবাকে খুঁজে পেয়েছি ইন্টারনেটে'
বাংলাদেশে শিশুদের পাঠদান প্রক্রিয়া কতটা যৌক্তিক?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হওয়া বন্দুকযুদ্ধে একজন পুলিশসহ অন্তত ৬জন নিহত হয়েছে ঐ ঘটনার সময় আরো দুইজন পুলিশ অফিসার আহত হয়। বন্দুকধারীরা একটি দোকানের ভেতর থেকে গুলি চালায়। তবে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। এটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে মনে করছে না কর্তৃপক্ষ। নিহত পুলিশ অফিসার জোসেফ সিলস নিউ জার্সি থেকে অবৈধ অস্ত্র উৎখাত কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন জার্সি সিটির পুলিশ প্রধান মাইক কেলি। আরো পড়তে পারেন: মার্কিন সংসদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচার পরিকল্পনা প্রকাশ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ বন্দুকধারীরা একটি সুপারমার্কেটে আশ্রয় নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালায় স্থানীয় সময় দুপুর বারোটার পরপর একটি গোরস্থানে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। সেসময় সন্দেহভাজন হামলাকারীদের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ অফিসার জোসেফ সিলস মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই হামলাকারী একটি ট্রাকে করে ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে একটি সুপারমার্কেটে আশ্রয় নেয় এবং পুলিশের দিকে গুলি চালানো অব্যাহত রাখে। এরপর সোয়াটসহ বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ঐ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। হামলাকারীদের সাথে গোলাগুলিতে দোকানের ভেতরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে দুই হামলাকারীসহ দোকানের ভেতরে থাকা তিনজন হামলায় নিহত হয়ে থাকতে পারে নিহতদের মধ্যে দু'জন সন্দেহভাজন হামলাকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে হামলাকারীরা 'ভারী অস্ত্রশস্ত্র' বহন করছিল এবং বন্দুকযুদ্ধের সময় তারা পুলিশের দিকে 'শত শত রাউন্ড' গুলি ছোঁড়ে। দোকানের ভেতরে থাকা গোলাগুলিতে আহত একজনকে চিকিতসা দেয়া হচ্ছে এবং হামলাকারীদের ব্যবহার করা গাড়িটি বোমা বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে এক পুলিশসহ নিহত অন্তত ৬ জন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিএনপি প্রধানের দণ্ডোদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল। বিশেষ করে বিরোধী দল যখন রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকে তখন এ বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। যখনই যারা বিরোধী দলে ছিলেন, তখন তারা এই কাজটি করেছেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বুধবার দেশটির রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে জাতিসংঘ এবং কমনওয়েলথের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে এই চিঠি পাঠানো হয়। বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তাদের চিঠিতে বিরোধী দলের ওপর, তাদের ভাষায়, সরকারের দমননীতি, বিচারবিভাগের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সরকার কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে - সেই বিষয়গুলোই তুলে ধরা হয়েছে। ঐ চিঠির মাধ্যমে বিএনপি মূলত বলতে চেয়েছে, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও দেখুন: বিএনপি ও জিয়া পরিবারের রাজনীতি কোন পথে? খালেদা জিয়া কি এবার নির্বাচন করতে পারবেন? জাতিসংঘ কিংবা কমনওয়েলথের কাছে চিঠির মাধ্যমে বিএনপি কী আশা করছে? এই প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ভেতরে কী ঘটছে সে বিষয়গুলো তারা আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে চান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং কমনওয়েলথে সদস্য থাকার কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে বলে বিএনপি মনে করছে। মি. চৌধুরী বলেন, "এসব বিষয় নিয়ে একটা জনমত সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা আছে। সেটা শুধু দেশের মধ্যে নয়।" বাংলাদেশ গত ২৫ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা গেছে, কমনওয়েলথ কিংবা জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে পারেনি। উনিশশো পচানব্বই সালে কমনওয়েলথের দূত স্যার নিনিয়ান স্টেফান কিংবা ২০১৩ সালে জাতিসংঘের দূত অস্কার ফার্ণান্দেজ তারানকোর সমঝোতা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, একসময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাব থাকলেও এখন ভারত এবং চীনের ভূমিকা বেশ জোরালো হয়েছে। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারবে? অধ্যাপক আমেনা মহসিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য খবর: 'টেলিফোন করলেই পৌঁছে যায় ইয়াবা' শ্রীদেবীর শব গ্রহণকারী কে এই আশরাফ থামারাসারি? মো সালাহ্‌ কি মুসলিমদের ফুটবলে উদ্বুদ্ধ করছেন? রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক আমেনা মহসিন বলছেন, "এখন খুব একটা প্রভাবিত করার স্কোপ (সুযোগ) নেই। জাতিসংঘ বলেন, কমনওয়েলথ তো একেবারেই না।" কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দেশ নয়, সেজন্য একটা নৈতিক চাপ থাকতে পারে বলে আমেনা মহসিন মনে করেন। খালেদা জিয়া কারাগারে যাবার পর বিএনপি ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করেছে। আন্তর্জাতিক মহলকে বিএনপি বোঝাতে চাইছে যে খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাননি। অধ্যাপক আমেনা মহসিন মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরার মাধ্যমে বিএনপি হয়তো তাদের রাজৈনৈতিক বিকল্পগুলো প্রয়োগ করছে। "কোনটা ফল দেবে আর কোনটা ফল দেবে না সেটা এ মুহূর্তে আমাদের পক্ষে বলা খুবই কঠিন, " বলছিলেন আমেনা মহসিন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে প্রায়ই অভিযোগ করা হয় যে বিএনপি দেশের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা করতে না পেরে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। কিন্তু বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, "যদি অভিযোগ করার মতো দেশে কিছু বিরাজমান থাকে, এটা দেশের মানুষকে জানতে হবে এবং বিশ্বকে জানতে হবে। এবং তার ফলে এই সংস্থাগুলো যে একেবারে কিছু বলে না বা করে না, তাও তো না।" বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ক্ষেত্রে করে দুই দলের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতাসীনদের উপর একটি আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখা জরুরী। দু'হাজার চোদ্দ সালের পর থেকে যে আলোচনার কথা আওয়ামী লীগ বরাবরই বাতিল করে দিচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনের মুখে পুলিশী প্রহরা।
জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথের কাছে বিএনপি কী আশা করছে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
একদিকে প্রেসিডেন্ট মাদুরো নতুন নির্বাচন দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন, অন্যদিকে বিরোধী নেতা হুয়ান গুইয়াদো জনগণকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের আহ্বান করেছেন। এর আগে বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইয়াদো বুধবারও জনগণকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার আহ্বান করেছেন। এই বাস্তবতায় আগামী কয়েক সপ্তাহ ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার সংকটকে কেন্দ্র করে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভেনেজুয়েলার বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নিতে পারে? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বিবিসির স্প্যানিশ সার্ভিস, যেখানে চার রকমের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কী সেই চার রকমের সম্ভাবনা? ভেনেজুয়েলা: যে কারণে সেনাবাহিনী মাদুরোর পাশে ভেনেজুয়েলার সংকট কীভাবে বিশ্ব সমস্যা হতে পারে ভেনেজুয়েলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি সবকিছু একই রকম আছে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি এবার হয়তো খুব দ্র্রতই পরিবর্তন হবে। দেশটির উপার্জনের সবচেয়ে বড় উৎস তেল-যার ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার সরকারি তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুদূর-প্রসারী প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক স্টিভ হ্যাঙ্ক। নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো, যদিও তার বিরুদ্ধে বুধবারও বিক্ষোভ করে বিরোধীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের দেয়া এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বেশ তীব্র হবে বলেই মনে করছেন মিস্টার হ্যাঙ্ক। বর্তমানে, ভেনেজুয়েলা যত তেল রপ্তানি করে তার মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তেলের উপরে জারী করা এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন অন্যান্য দেশও ভেনেজুয়েলার তেলের দাম কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ২০১৩ সাল থেকেই মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল রাশিয়া, চীন ও তুরস্ক। ফলে হয়তো পরিস্থিতি একই রকম থেকে যাবে। নতুন নির্বাচন ও মাদুরো ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুইয়াদো নিজেকে আত্ম-স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠে। কারণ মিস্টার গুইয়াদোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশকিছু দেশ অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু মিস্টার মাদুরো যদি পুন:নির্বাচনের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিতেন তাহলে এটি স্পষ্ট হয়ে যেতো যে, ২০১৮ সালে মে মাসের নির্বাচন ছিল কারচুপিতে ভরা এক প্রহসন-এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। স্পেনের নাভারা ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমিলি জে ব্লাস্কো বলেছেন, মাদুরো যদি পুন:নির্বাচনের দাবী মেনে নেয় তাহলে এর অর্থ হচ্ছে, তাকে আসলে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কারণ পুন:নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে আগের নির্বাচনটিতে কারচুপির অভিযোগ মেনে নেয়া। ভেনেজুয়েলাতে এরপর নির্বাচন হলে সেটিকে জাতিসংঘের সিকিকিউরিটি কাউন্সিল দিয়ে মনিটরিং করানোর কথা বলেছেন উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা। বুধবারের বিক্ষোভ ব্যাপক জনসমাগম আকর্ষণ করতে পারেনি। আপোষ-রফা: কতদূরে? ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ সংকট অন্তর্জাতিক ইস্যুতে রূপ নিয়েছে বিরোধী দলীয় নেতা মিস্টার গুইয়াদো নিজেকে আত্ম-স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে। গুইয়াদোকে সমর্থন জানায় ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী দেশ ব্রাজিল থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি দেশ। তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ বেশ কূটনৈতিক একটি অবস্থান নিয়েছেন। মি. মাদুরো ও মি. গুইয়াদোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে তা সমাধানের চেষ্টায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে রাজি হয়েছে তিনি। তবে, আপস ও সংকট মীমাংসার জন্য আরও বেশ লম্বা সময় প্রয়োজন। কারণ এর আগে আপোষের অনেক আলাপই শেষ পর্যন্ত আর সফল হয়নি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চাপকেও বেশ গুরুত্বের সাথেই দেখা হচ্ছে। সামরিক হস্তক্ষেপ ভেনেজুয়েলায় সেনা মোতায়েন করার কোনও চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সব ধরণের পদক্ষেপের কথাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপরেই গত সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি ছবি প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মি. ট্রাম্পের সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর জন বল্টন একটি নোটপ্যাড নিয়ে যাচ্ছেন এবং সেটিতে লেখা আছে 'কলম্বিয়াতে ৫ হাজার সৈন্য'। অর্থাৎ কলম্বিয়া হচ্ছে ভেনেজুয়েলার সীমান্ত এবং সেখানে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সামনে আসে এই ছবির মাধ্যমে। ভেনেজুয়েলার সাথে কলম্বিয়ার প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হলে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। আর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মি. মাদুরোর তীব্র বিরোধিতা করছেন।
ভেনেজুয়েলা সংকট কোনদিকে মোড় নিচ্ছে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে, ৭ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা হয়। সোমবার একমাত্র আসামি আব্দুল মান্নান সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ নূরে আলম। সেইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছিল, চলতি মাসের গোড়ার দিকে বন্দর শহর মোংলায় ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিস্কুটের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে তারই প্রতিবেশী ৫৩ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান সরদার। তেসরা অক্টোবর ঘটনার রাতেই শিশুটির মামা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১১ অক্টোবর জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এ পাঠায়। ওই দিন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নেয়। পরদিন অভিযোগ গঠন করে। ১৩ই অক্টোবর বাদীপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট সাক্ষী, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। রোববার পর্যন্ত মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম। মামলা দায়েরের মাত্র ছয় কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করে, ৭ দিনের মাথায় রায় ঘোষণার নজির বাংলাদেশে এর আগে দেখা যায়নি। নির্যাতনের শিকার শিশুটি অনাথ। সে তার মামা-মামীর কাছে থাকে। রায়ের পর শিশুটির মামীর সাথে কথা হয় বিবিসির, তিনি এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে বলেও জানান তার মামী। আরও পড়তে পারেন: ধর্ষণের শিকার নারীরা বিচার পান না যে সব কারণে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘নজিরবিহীন’ সাত হাজার সমাবেশ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ছাড়া আরও যে ছয় দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড: নতুন অধ্যাদেশে কী বলা হয়েছে?
ধর্ষণ: এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার রায় দিয়ে দ্রুত বিচারের নজির
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল নানা কারণে বেশ কয়েকটি বিয়ে ইতিহাসে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। রাজপরিবারের বিয়ের যে লম্বা তালিকা রয়েছে তার সর্বশেষ নাম যোগ হতে যাচ্ছে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের। তবে লম্বা এই তালিকায় রয়েছে বিয়েকে কেন্দ্র করে শিরশ্ছেদের মত ঘটনা। রয়েছে শিশু কনের গল্প, কোটি কোটি দর্শক টিভির সামনে বসে বিয়ে দেখা ইত্যাদি নানা ঘটনা। কুইন ভিক্টোরিয়া সাদা রঙের সিল্ক সাটিনের একটা পোশাক পরেন। দ্যা হোয়াইট ওয়েডিং কুইন ভিক্টোরিয়া শুধু ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সুপরিচিত শাসকদের একজন ছিলেন না, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষ যেভাবে বিয়ে করে সেটা পরিবর্তন করতেও সাহায্য করেছিলেন। তিনি ১৮৪০ সালে প্রিন্স আলবার্টকে বিয়ে করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু ব্যতিক্রমী ছিল কুইন ভিক্টোরিয়ার বিয়ের পোশাক। তিনি সাদা রঙের সিল্ক সাটিনের একটা পোশাক পরেন। সেই সময়ে এটা ছিল খুব অস্বাভাবিক একটা বিষয়। সেই সময়কার বিয়েতে কনেরা সাধারণত পরতেন বিভিন্ন রঙের গাউন এবং তার ওপরে সোনা অথবা রুপার কাজ করা থাকতো। যদিও রানী ভিক্টোরিয়া প্রথম নারী ছিলেন না যিনি তাঁর বিয়েতে সাদা পোশাক পরেছিলেন কিন্তু তার বিয়ের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়েছিল। এবং কনেদের মধ্যে সাদা রঙের গাউন পরা একটা ট্রেন্ড বা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছিল। কয়েকটি পত্রিকা এবং ওয়েবসাইট খবর দেয় যে ২০১১ সালে দুই বিলিয়ন মানুষ বিশ্বব্যাপী কেট ও প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে দেখেছেন। বিশ্বব্যাপী দর্শক যে বিয়ের প্রিন্স উইলিয়াম এবং ক্যাথরিন মিডলটনের বিয়ের অনুষ্ঠান এত মানুষ দেখেছিল যে এমনকি তাদের মেইড অব অনার এবং কনের বোন পিপ্পাও রীতিমত আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়ে যান। কয়েকটি পত্রিকা এবং ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয় দুই বিলিয়ন মানুষ বিশ্বব্যাপী ২০১১ সালের সেই বিয়ের অনুষ্ঠান দেখেছেন। কিন্তু একটা সরাসরি অনুষ্ঠান আসলেই কত মানুষ দেখছে তার সঠিক গণনা করাএটা প্রায় অসম্ভব। তাই এটা একটা ভুল খবর হতে পারে। ব্রিটিশ সরকারের কালচার, মিডিয়া এবং স্পোর্টস বিভাগ প্রথম ধারণা করেছিল কত দর্শক হতে পারে এই বিয়ের অনুষ্ঠান দেখার জন্য। পরে সেই সংখ্যাটাই বারবার খবরে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়। তবে সংখ্যাটা যতই হোক না কেন সেটা অবশ্যই প্রিন্স চার্লস এবং লেডি ডায়ানার বিয়ের দর্শকের চেয়ে বেশি। কুইন প্রথম ম্যারি এবং স্পেনের দ্বিতীয় ফিলিপের মধ্যেকার বিয়েটা ছিল রাজনীতির হিসাব-নিকাশের। রোমান্টিকতার ছোয়া কম এমন বিয়ে এখনকার দিনে রাজ পরিবারের বিয়ে হচ্ছে একে অপরের প্রেমে পড়ে, অনেক দিন প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তারপরে পরিণয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন বিয়ে হত একটা রাজনীতির হিসাব-নিকাশ বা বন্ধুত্ব তৈরি করার মাধ্যম হিসেবে। তেমনি এক বিয়ে ছিল কুইন প্রথম মেরি এবং স্পেনের দ্বিতীয় ফিলিপের মধ্যেকার বিয়েটা। দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তার এবং ইউরোপে রোমান ক্যাথলিজমকে আরো শক্তিশালী করা ছিল ১৫৫৪ সালের ঐ বিয়ের মূল উদ্দেশ্য। বিয়ের চার বছর পর মেরি মারা যান, খবর আছে এক বছরের বেশি সময় ফিলিপের সাথে তার দেখা হয়নি। পরে ফিলিপ তার বোনকে পাঠানো একটা চিঠিতে লিখেছিলেন তার মৃত্যুতে আমি যৌক্তিকভাব অনুতপ্ত। তবে সেই চিঠিতে স্ত্রী বিয়োগের কষ্টের কথার চেয়ে ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সমঝোতার বিষয়েই বেশি কথা ছিল। বহুবিবাহ ইংল্যান্ডের হেনরি অষ্টম ছিলেন সবচেয়ে বেশি বার বিয়ে করা রাজা। হেনরি শুধু বহুবিবাহ করেননি স্ত্রীদের হত্যা করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি প্রথম বিয়ে করেন ১৫০৯ সালে। কনে ছিলেন তার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ক্যাথরিন অব অ্যারাগন। তিনি একটা কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার পর তাকে তালাক দেন হেনরি। এরপর বিয়ে করেন অ্যানি বোলিনকে, তিনিও একটা কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এদিকে রাজা তখন একটা পুত্র সন্তানের জন্য পাগল প্রায়। তিনি আবারো বিয়ে করলেন জেন সেইম্যুরকে। এই নারী একটা পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার কিছুকাল পরেই মারা যান। হেনরি এরপর বিয়ে করেন অ্যানি অব ক্লিভসকে। এই বিয়েটা ছিল জার্মান প্রোটেস্টান্টদের সমর্থন পাওয়ার আশায়। কিন্তু ছয় মাস পরেই তালাক দেন তাকে। যখন তিনি ৫০ বছরের কাছাকাছি তখন বিয়ে করেন কিশোরী ক্যাথরিন হাওয়ার্ডকে। দুই বছর পর তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন। তার সর্বশেষ বিয়ে ছিল ক্যাথরিন মার এর সাথে। এই নারীর সাথে তিনি মৃত্যু অবধি ছিলেন। হেনরি মৃত্যুবরণ করনে ১৫৪৭ সালে। ১৯৮১ সালে বিয়েতে ডায়ানা যে পোশাক পরেছিলেন বলা হয় সেটি সবচেয়ে দামি পোশাকগুলোর মধ্যে একটি। নারীবাদী বিয়ে প্রিন্স চার্লস এর সাথে লেডি ডায়ানা স্পেনসারের বিয়ে নানা কারণে উল্লেখযোগ্য। ১৯৮১ সালের এই বিয়েতে ডায়ানা যে পোশাক পরেছিলেন সেইটি ছিল দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে বেশি। বলা হয় এটা সবচেয়ে দামি পোশাকগুলোর মধ্যে একটি ছিল। একই সাথে এই বিয়েকে প্রথম নারীবাদী বিয়ে হিসেবে দেখা হয়। কারণ কনে বিয়ের সময় তার স্বামীর 'বাধ্য থাকবে' এমন যে প্রতিজ্ঞা করতে হয় সেটা তিনি করেন নি। ডায়ানা প্রিন্স চার্লসের থেকে ১৯৯২ সালে আলাদা হয়ে যান। পরে তিনি জনসম্মুখে প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি অন্য পুরুষের সাথে প্রেম করেছেন এটাও স্বীকার করেন। তারা ১৯৯৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। ১৯৯৭ সালে ডায়ানা এক গাড়ী দুর্ঘটনায় মারা যান।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের ব্যতিক্রমী কয়েকটি বিয়ে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ঢাকায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণার কথা জানান মানসিক চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস বা বিএপি-র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, "মানসিক রোগের যারা রোগী তাদের জন্যও এটা অত্যন্ত কষ্টের। আমরাও দুঃখিত। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।" সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। সেই সাথে সব মানসিক চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে কমিশনসহ অন্যান্য ভাবে জড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এর নিন্দা জানানো হয়। এর আগে বুধবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নিজেদের চেম্বারে দুই দিন অর্থাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবার রোগী না দেখার ঘোষণা দিয়েছিলেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। আজ মূলত সেই কর্মসূচীই আরো বাড়ানো হলো। এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের চিকিৎসার সাথে গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের নিজেদের পরিচালিত তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, "হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে এটা প্রতীয়মান হয় যে উক্ত রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পর্যায়েই ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।" এ বিষয়ে বিএপি'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিফাত-ই-সাইদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে অনেকেই থাকতে চান না। কারণ অনেকেরই সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ পছন্দ হয় না। "এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চান যে, কোন বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে নেয়া যেতে পারে। আমরা যদি কোন হাসপাতালের নাম বলি তাহলেই কি সেখানকার দালাল হয়ে যাবো?" এমন হাসপাতালে কোন ঘটনা ঘটলে সেটার দায়ভার ওই চিকিৎসকের উপর এসে বর্তায় কিনা - সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রোগীদের সাথে অমানবিক আচরণ নিয়ে অভিযোগ থাকলেও এ বিষয়ে, মানসিক চিকিৎসকদের সংগঠন আগে কেন কোন পদক্ষেপ নেয়নি ?এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সিফাত-ই-সাইদ বলেন, এর আগে আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ পাননি তারা। এদিকে চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি সাধারণ রোগীদের জন্য ভোগান্তিকর বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার নেতৃত্বে কর্তৃপক্ষের একটি দল জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেছেন এবং আলোচনাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথেও আলোচনা হয়েছে এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, সরকার পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবে। খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সাথে মামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনা তদন্তের আওতায় থাকার কারণে ডা. আল মামুনকে সব ধরণের আইনি সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? প্রসঙ্গত ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার হাসপাতাল সংলগ্ন তার বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে আটকের খবর দিয়ে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে, আনিসুল করিম হত্যা মামলায় এফআইআরভুক্ত পনের জনের মধ্যে মোট বার জনকে এ পর্যন্ত আটক করা গেছে। এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, মি. মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে আসা রোগীদের ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে পাঠাতেন। ওই হাসপাতালেই পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম নিহত হন। মঙ্গলবারই মি. মামুনকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। নিহত আনিসুল করিম ছিলেন বিসিএস ৩১তম ব্যাচের একজন পুলিশ কর্মকর্তা কী ঘটেছিল? গত নয়ই নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। পরে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাতে দেখা যায় মিস্টার করিম ওই হাসপাতালে যাওয়ার পর একদল লোক তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ ওঠে যে এ মারধরের সময় ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে যারা আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ওই কামরাটিতে নিয়ে যায় তারা কেউই চিকিৎসক ছিলেন না। এদের মধ্যে চার জন ওয়ার্ড বয়, দুজন সমন্বয়কারী, আর কয়েকজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিল। এদেরকেসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ গত দশই নভেম্বর জানিয়েছিলো। যাদের মধ্যে হাসপাতালটির একজন পরিচালক ডাঃ নিয়াজ মোর্শেদ।
বাড়লো মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা সরকারের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
থাই কিশোর ফুটবলারদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে এই প্রথম ১২জন কিশোরের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুহা থেকে উদ্ধার পাওয়া কিশোর ফুটবলাররা হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে পাশাপাশি বিছানায় বসে বা শুয়ে আছে। তাদের পরনে হাসপাতালের গাউন এবং মুখে মাস্ক দেখা যায়। কিশোর ফুটবলারদের অন্তত একজন ক্যামেরা দেখে বিজয়সূচক 'ভি' চিহ্ন দেখিয়েছে। তবে গুহার ভেতরে দীর্ঘদিন থাকা এবং বিপদজনক উদ্ধার অভিযানের ধকল সামলাতে তাদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। কিশোরদের পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষের কাঁচের দেয়ালের বাইরে থেকে তাদের সন্তানদের দেখতে দেয়া হয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। এদিকে, এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভয়াবহ উদ্ধার অভিযানের সময় কিশোর ফুটবলার ১২জন এবং তাদের কোচকে এক ধরণের ঔষধ দেয়া হয়েছিল, যাতে তারা আতঙ্কিত না হয়। উদ্ধার কাজে সরাসরি অংশ নেয়া একজন ডুবুরি জানিয়েছেন, অন্ধকার ও সংকীর্ণ জায়গা এবং পানির ভেতর ডুব দিয়ে বের করার সময় কিশোররা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য কড়া ডোজের ঘুমের ঔষধ দিয়ে তাদের গুহা থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। থাই নেভি সিল থেকেও গুহার ভেতরে কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধার অভিযানের কিছু ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। থাই নেভি সিল এর সাবেক চিয়েনান্ত পীরানারং সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেছেন,"তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঘুমিয়ে ছিলো। কেউ কেউ তাদের আঙ্গুলের ঝাঁকুনি দিয়েছিলো। কিন্তু তারা শ্বাস নিচ্ছিল। আমার কাজ ছিলো, তাদের বের করে আনা।" এই কিশোরদের প্রত্যেকের জন্য দু'জন করে ডুবুরি ছিল। তাদের শুকনো অংশ দিয়ে পার করার জন্য স্ট্রেচার ব্যবহার করা হয়। আরও পড়ুন: খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতেই দিলো না দিল্লী থাই গুহায় শিশুদের সাথে তিনদিন ছিলেন যে ডাক্তার 'ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ: এবার নয়তো কখনো নয়' থাই নেভি সিল উদ্ধার অভিযানের ছবি প্রকাশ করে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্ট্রেচারে করে একজনকে গুহা থেকে বের করে আনা হচ্ছে। আশা ছিল ক্ষীণ থাই নেভি সিল এর প্রধান বিবিসিকে বলেন, ১২জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচকে গুহা থেকে উদ্ধারের মাধ্যমে 'আশা' বাস্তবে রুপ নিয়েছে। "আমাদের ক্ষীণ আশা ছিল যে, তারা বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু তাদের উদ্ধার করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়েছিলাম। আমাদের কেবলমাত্র ক্ষীণ আশা ছিল, তার উপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করেছি।" এই কিশোর ফুটবলাররা গুহায় পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে আটকা পড়েছিল। তাদের উদ্ধারে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান বিশ্বকে নাড়া দেয়। তিনদিনের জটিল অভিযানের প্রথমদিনে রোববার উদ্ধার করা সম্ভব হয় চারজনকে। পরদিন সোমবার উদ্ধার হয় চারজন। সবশেষে মঙ্গলবার বাকি চারজন কিশোর এবং তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়। কিশোরদের প্রত্যেকের প্রায় দুই কেজি করে ওজন কমেছে। কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল বলে বলা হয়। উদ্ধারের সাথে সাথেই তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। উদ্ধারের পর ডুবুরিসহ অভিযান জড়িতরা আনন্দ প্রকাশ করেন। সামাজিক নেটওয়ার্কে হাজার হাজার মানুষ উদ্ধারকারিদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্লাব উদ্ধার হওয়া কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচকে ক্যাম্পে ম্যাচ দেখার প্রস্তাব দিয়েছে এবং একটি টুর্নমেন্টে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই কিশোর ফুটবলারদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে কিভাবে নাটক উন্মোচিত হলো ফুটবলারদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হবে। তারা ওয়াইল্ড বোয়ার নামের একটি ফুটবল দলের সদস্য। গত ২৩ শে জুন তারা থাইল্যান্ডে উত্তরাঞ্চরীয় চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং গুহায় বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। অতিবর্ষণে গুহায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা গুহার ভেতরে আটকা পড়েছিল। ব্রিটিশ একজন ডুবুরি তাদের খুঁজে পায় গুহায় অন্ধকার অংশে। কিন্তু কিশোরদের অনেকে সাঁতার জানতো না। ফলে তাদের উদ্ধার করে আনার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। গুহাটির অনেক জায়গা ছিল খুবই সংকীর্ণ। আর অতিবর্ষণে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। তারা গুহার যেখানে আটকা পড়েছিল, সেই জায়গাটিও ছিল খুবই জটিল। অভিজ্ঞ ডুবুরিদের জন্যও সেখানে যাওয়া বেশ জটিল ছিল। কিশোরদের খুঁজে পাওয়ার পর উদ্ধারকারিরা প্রথমে গুহার ভেতরে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছিল এখন এই ফুটবলার এবং তাদের কোচের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছে এই ফুটবল দলের অধিনায়ক দুগানপেত প্রোমতেপ।তার বয়স ১৩ বছর। সে দলকে উজ্জীবিত রাখতে কাজ করে। সে এর আগে থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি পেশাদার ক্লাব থেকে স্কাউন্টিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দলটির একজন সদস্য মিয়ানমার বংশোদ্ভুত আদুল স্যাম অন। তার বয়স ১৪ বছর। সে বিভিন্ন ভাষা জানে। সেই দলটির একমাত্র সদস্য, যে তাদের সন্ধান পাওয়া ব্রিটিশ ডুবুরির সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছে। পিরাপাত সোমাপিয়াংজাই। ২৩শে জুন তার ছিল জন্মদিন।সেদিনই তার ১৭ বছর পূর্ণ হয়। তার জন্মদিন পালনের জন্য গুহায় গিয়ে তারা আটকা পড়েছিল। এক্কাপোল জানথাওং ফুটবল দলটির সহযোগী কোচ। তার বয়স ২৫ বছর। তিনিই সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় ছিলেন। কারণ উদ্ধারকারিদের কাছে তিনি বার বার খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার খাবার কিশোরদের দিতে বলেছেন।
হাসপাতালে কেমন আছে গুহা থেকে উদ্ধার থাই কিশোর ফুটবলাররা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পিক-আপ ট্রাকে করে এসে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। শহরের যেসব এলাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছিল অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা সেখানে আক্রমণ চালায়। এর পর বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে বিক্ষোভ চলছে। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকে এরকম বিক্ষোভ কখনো দেখা যায়নি। এই অস্থিরতা শুরু হয়েছে অক্টোবর মাসে যখন লোকজন দুর্নীতি, বেকারত্ব, সরকারি সেবার অভাব এবং তাদের দেশে ইরানের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাকে ৪২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বন্ধ করে রেখেছে, অবরোধ করে রেখেছে তেল ক্ষেত্র এবং বন্দর। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাগদাদে শুক্রবার রাত পার হয়ে ভোরের দিকে পিক-আপ ট্রাকে করে আসে সশস্ত্র ব্যক্তিরা এবং লোকজন যেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিল তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকে। এসময় তারা গুলি চালাতে থাকে এবং লোকজন প্রাণের ভয়ে এদিকে ওদিকে দৌড়াতে শুরু করে। কারা এই হামলাকারী সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাদেরকে "অজ্ঞাত ব্যক্তি" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এসব বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪২০ জন নিহত হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক যে পাঁচ বিক্ষোভকারী ইরান-বিরোধী মুজাহিদিনরা কী করছে ইউরোপে? যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ গত সপ্তাহেই ইরানি সমর্থিত একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সমর্থকরা বিক্ষোভ স্থলে ঢুকে পড়লে বেশ কয়েকজন ছুরিকাহত হয়। আরেকটি ঘটনায় প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা সদরের বাড়িতে ড্রোনের সাহায্যে বোমা ফেলা হয়েছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সেসময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থারই আমূল পরিবর্তন দাবি করছেন। ইরাকে জাতিগত বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু বহু ইরাকি মনে করেন যে এর মাধ্যমে দেশটিতে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিয়া রাষ্ট্র ইরানের সাথে ইরাকি নেতাদের বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরাকে শিয়া রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করছেন। কীভাবে শুরু? সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি দেশটির জনপ্রিয় এক ব্যক্তি যিনি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বাহিনীর প্রধান ছিলেন তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে নিচু পদে আসীন করেন। লোকজন সোশাল মিডিয়াতে এর প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সেখানেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ১লা অক্টোবরে বিক্ষোভের ডাক দেয়। বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে। বিক্ষোভকারীরা তখন একটি সেতু পার হয়ে সুরক্ষিত গ্রিন জোনে (যেখানে প্রধান প্রধান সরকারি অফিস) প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। এর পরেই বিক্ষোভ রাজধানী ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় আরো কয়েকটি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তারা আদাম নির্বাচনের দাবি জানাতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন নেতা নেই। অনেকটা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তারা এসব প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে। এর এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বেকারত্ব কমাতে কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু আগাম নির্বাচন না দেওয়ায় তারা ২৫শে অক্টোবরে আবার রাস্তায় নেমে আসে। ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কেন? বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ যে ইরান তাদের দেশে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর ফলে ইরাকের সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়েছে, বাড়ছে দুর্নীতিও। নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের লোকেরা এসব বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকেই ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ইরাকের শিয়া নেতাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে যারা শাসক শ্রেণির সদস্য। ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী পপুলার মবিলাইজেশনকে সাহায্য সহযোগিতা দেয় ইরান। এই বাহিনীতে শিয়া মিলিশিয়ারাই প্রাধান্য বিস্তার করছে। আরো পড়তে পারেন: সাগর-মহাসাগরে কমে যাচ্ছে অক্সিজেন 'এনকাউন্টারে হত্যায়' ভারতীয়রা কেন উল্লাস করছে বাংলাদেশে পীর-সুফিদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কবর থেকে উদ্ধার করা শিশুটি এখন পুরোপুরি সুস্থ
ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ: বন্দুকধারীদের গুলিতে রাজধানী বাগদাদে অন্তত ২০ জন নিহত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নারীরা অনেকে বলছেন ফেসবুকে নিজের মতামত প্রকাশ করে আক্রমণের মুখে পড়ছেন তারা এফএম রেডিওটির ফেসবুক পাতায় সেটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিলো। সেখানে পরকালে বিশ্বাস করেন কিনা এক শ্রোতার পাঠানো এমন প্রশ্নের জবাবে খুব হালকা ভাবে তিনি বলছিলেন তিনি যা দেখেননি তা তিনি বিশ্বাস করেন না। এরপর সেই ফেসবুক লাইভেই ভয়াবহ মন্তব্য আসতে শুরু করে। গতকাল নিজের ফেসবুক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে যে পোস্ট দিয়েছেন তিনি সেটিতে মন্তব্য রয়েছে ৬০ হাজারের বেশি। যার বেশিরভাগই নেতিবাচক ও নোংরা। যৌন ইঙ্গিত রয়েছে অনেক মন্তব্যে। এমনকি ধর্ষণের হুমকিও রয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি এক হিসেবে বলা হয়েছে অনলাইনে ৭০ শতাংশের বেশি নারী হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। নারীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কতটা স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারেন? বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: "অপরিচিত পুরুষের সাথে যখন ফেসবুকে আমার পরিচয় হলো" যেভাবে শপথ নিয়েছিল ১৯৭১'এর মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে? নিজের ভেরিফায়েড পেজে সাফা কবিরের বক্তব্য দুজন নারীর অভিজ্ঞতা ফেসবুকে সরব এমন একজন সাংবাদিক ও লেখক শারমিন শামস। তিনি বলছিলেন নারীবাদ, নারী অধিকার নিয়ে লেখালেখি করেন বলে সোশাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে, এমনকি নিউজ পোর্টালগুলোতে নিজের লেখার নিচে ভয়াবহ সব মন্তব্য দেখে তিনি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। একটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলছেন, "মেয়েদের চাকরি করা উচিত এমন একটা লেখা ছাপা হওয়ার পর আমাকে লিখেছে আমাকে কোথায় ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হবে। এমনকি আমার মাকে কিভাবে রেপ করা হবে, বিশদ বর্ণনা সহ।" তিনি বলছিলেন সম্প্রতি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের হিজাব নিয়ে করা একটি নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তিনি বলছেন, "একজন মন্তব্য করেছে যে নুসরাত ইরানি বোরখা পরেছে। তাতে তার পর্দা হয়নি। সে যেহেতু এক সময় এমনিতেই দোজখের আগুনে পুড়তো তাই তাকে এখনি দুনিয়াতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেটা ঠিক হয়েছে।'' ''এমন মন্তব্যের স্ক্রিনশট আমি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। এরপর থেকে সেই লোক একটা ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে আমাকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠানো শুরু করলো। ওটা সরাতে বলল। আমাকে গালি দিলো। তার রিপোর্টের জন্য আমার অ্যাকাউন্ট তিনদিনের জন্য ব্লক হয়ে গিয়েছিলো।" শারমিন শামস 'নারীরা আস্তে আস্তে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে' লীনা পারভীন একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুকে তার নিয়মিত উপস্থিতি। বলছিলেন, "অনলাইনে লেখালেখি করি। মাঝে মাঝে দেখা যায় এমন বাজে সব কমেন্ট করা হয়, যেগুলো আমার নারী সত্তাকে কেন্দ্র করেই কমেন্টগুলো আসে। আমি টিপ পরি সে নিয়ে জঘন্য মন্তব্য করা হয়েছে। ধরেন বেশ্যা জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বাকিগুলো এতই নোংরা যে সেগুলো মুখে উচ্চারণ নাইবা করলাম।" তিনি বলছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক জায়গায় মন্তব্য করাই বন্ধ করে দিয়েছি। আমার মতো আরও অনেক নারী যারা ফেসবুকে কথা বলার একটা জায়গা পাচ্ছিলো তারাও অনেকে আস্তে আস্তে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে।" লীনা পারভীন কেন এই অবস্থা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলছেন, "কোন বিষয়ে একজন পুরুষ যদি কিছু বলেন তাকে ঐ বিষয়টা বলার জন্য হেনস্থা হতে হয়। কিন্তু একজন নারী যদি বলেন তার ক্ষেত্রে একটা বাড়তি জিনিস যুক্ত হয়। তাকে নারী হিসেবেও হেনস্থা হতে হয়।" তিনি বলছেন, "এগুলো আগেও ছিল। যেমন আগে যখন আমরা স্কুলে যেতাম আমরা অনেক কথা শুনতাম। কিন্তু ফেসবুক হওয়াতে এগুলো এখন লিখিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকে এত ধরনের মানুষের এখন অ্যাকসেস হয়েছে যে তাদের মনের কথাটা বা তাদের ধর্ষকামী যে মন, সেটিকে তারা উন্মুক্ত করার সুযোগ পান বাধাহীন ভাবে।'' ''কারণ একই লেখা যদি একটা পত্রিকায় লিখতে হতো তাহলে তো অনেক ফিল্টারিং হতো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে না। তাই ওপেনলি তারা তাদের যা খুশি তাই বলতে পারেন। " তিনি বলছেন, এসব ঘটনাকে কোন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না বিধায় এসব ঘটনা চলছে। আইনের প্রয়োগ একই রকম নয় কেন? বাংলাদেশে সরকার সম্প্রতি খুব কঠোর একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে। অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলছেন, "কোনও নেতা নেত্রীকে কটূক্তি করলে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে মামলা হচ্ছে। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।'' কিন্তু তিনি বলছেন যখন কোন মেয়ের ব্যাপারে এসব কথাগুলো বলা হচ্ছে বা ''মেয়েদের নিয়ে বীভৎস ভাষায় ওয়াজ করা হচ্ছে'', তাদের কিন্তু ধরা হচ্ছে না। আর শারমিন শামস প্রশ্ন তুলছেন, "এই যে মেয়েদের অনলাইনে এত ভয়াবহ কথা বলা হচ্ছে, এই যে সাফা কবিরের ক্ষেত্রে যা ঘটলো বা আমি নিজে অসংখ্যবার পুলিশের কাছে গেছি এসব ক্ষেত্রে একই আইনের প্রয়োগ কেন নেই?" আরও দেখুন: একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব সীমান্তে যে কারণে কমছে বাংলাদেশী হত্যা
মডেল সাফা কবির: বাংলাদেশে ফেসবুকে নারীদের মত প্রকাশ কতটা নিরাপদ?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
লেস্টার শহরের বেলগ্রেভ রোডে চাঁদা তুলে মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। এই আবেদনপত্রে মি. গান্ধীকে একজন "ফ্যাসিবাদী, বর্ণবাদী এবং শিশু যৌন নির্যাতনকারী" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। লেস্টারের পৌর কাউন্সিল আবেদনপত্রটি খারিজ করে আবেদনকারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তি তুলে ধরতে বলেছে। পার্লামেন্টর সাবেক এমপি কিথ ভাজ বলেছেন, "ভাস্কর্যটি কোথাও যাবে না।" দু'হাজার নয় সালে গান্ধী মূর্তিটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। গান্ধী মূর্তি সরিয়ে নেয়ার এই অনলাইন আবেদনটি শুরু করেন কেরি পাংগুলিয়ে নামে এক ব্যক্তি। গান্ধী মূর্তির চার পাশে লেস্টারের বাসিন্দাদের প্রতীকী বলয়। আরও পড়তে পারেন: নারীবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: মোহনদাস গান্ধীর যত বিতর্কিত দিক গান্ধী: বিদ্রোহী কিশোর থেকে 'ভারতের জাতির জনক' যে কারণে নোয়াখালী এসেছিলেন মোহনদাস গান্ধী তিনি জানাচ্ছেন, লেস্টার সিটি কাউন্সিল তাকে অনলাইন আবেদনপত্রটি জমা না দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার আবেদনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে বলেছে। পৌরসভার একজন মুখপাত্র বলছেন, যদিও আবেদনপত্রটি এখনও জমা দেয়া হয়নি, তবুও শহরে রাস্তার নাম, ভাস্কর্য, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদির নামকরণের ক্ষেত্রে তা প্রাসঙ্গিক কিনা, উপযুক্ত কিনা এসব কিছুর আলোকে আবেদনপত্রটি বিবেচনা করা হবে। "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে লেস্টারের মতো এমন এক শহরে, আমাদের সব সম্প্রদায়ের ইতিহাস সংরক্ষণ করা এবং ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতাটি বিবেচনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ," বলছেন ঐ মুখপাত্র। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর পর 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স' নামে বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের ঢে্‌উ ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনেও। তারই পথ ধরে বহু ঐতিহাসিবক ব্যক্তিত্বের ভাস্কর্য এবং সেৌধ ভেঙে ফেলার দাবি উঠেছে। ভারতে স্বর্ণমন্দির হামলার বার্ষিকীতে ২০১৪ সালে ভাস্কর্যটি একবার বিকৃত করা হয়।
জর্জ ফ্লয়েড আন্দোলন: ইংল্যান্ডে গান্ধী মূর্তি রক্ষায় 'প্রতীকী বলয়'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত বিমান। দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকে দায়ী করা হচ্ছে। নেপালের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএএফপি এই খসড়া রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে ইউএস-বাংলার ঐ ফ্লাইটের পাইলট সেদিন "বেশ আবেগতাড়িত ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং কাঁদছিলেন।" তিনি সেদিন বিমানের ককপিটে দায়িত্বরত অবস্থায় ধূমপানও করছিলেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ছিলেন সেদিনের ঐ ফ্লাইটের পাইলটের দায়িত্বে। তাঁর সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন প্রিথুলা রশিদ। দুর্ঘটনায় তারা দুজনসহ বিমানের মোট ৫১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন। ২০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর। রিপোর্টে যা আছে: পাইলট আবিদ সুলতান এবং তাঁর স্ত্রী আফসানা খানম। দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর মাত্র দু সপ্তাহ পর স্ত্রী আফসানা খানমও অসুস্থ হয়ে মারা যান। কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএফপি সরকারি তদন্ত রিপোর্টের যে খসড়া ফাঁস করেছে, তাতে সেদিনের ফ্লাইটের ককপিটে কি ঘটেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। মূলত ফ্লাইটটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধারণ করা কথোপকথন এবং ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যেসব কথাবার্তা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই তদন্তকারীরা পাইলট সম্পর্কে এসব কথা বলেছেন। রিপোর্টে বলা হয়: নেপালের ত্রিভুবন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিমানবন্দর এএফপি দাবি করছে তারা নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে এই রিপোর্টের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। তবে এই রিপোর্ট সম্পর্কে বিবিসির নেপালি সার্ভিসের অনুসন্ধানের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো "অসম্পূর্ণ।" যেভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল এ বছরের ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ এইট কিউ-ফোর হানড্রেড বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি শেষ মূহুর্তে অবতরণের গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছিল। বিমানটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার ছয় সেকেন্ডের মাথায় এটিতে আগুন ধরে যায়। মূলত আগুনে পুড়েই মারা যান বেশিরভাগ আরোহী। অন্যান্য খবর: 'গণহত্যায় দায়ী' ছয় জেনারেল, সু চি ছিলেন নিশ্চুপ রোহিঙ্গা সংকট: কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান শহীদুল আলমের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি: যা বললেন ইনু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এই দুর্ঘটনা ছিল ১৯৯২ সালের পর নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় নিহতদের। ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে ঐ বিমানবন্দরেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৬৭ জন। তার মাত্র দুই মাস আগে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানও বিধ্বস্ত হয়। সেই ঘটনায় নিহত হন ১১৩ জন। নেপালের বিমান চলাচল নিরাপত্তার মান খুবই দুর্বল বলে মনে করা হয়। মূলত রক্ষণা-বেক্ষণের দুর্বলতা এবং অদক্ষ ব্যবস্থানাকেই এর জন্য দায়ী করা হয়। দুর্বল নিরাপত্তা মানের কারণে নেপালের এয়ারলাইন্সগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় উড্ডয়নের অনুমতি পায় না। নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হচ্ছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পাহাড়ের উপত্যকায় এই বিমানবন্দরটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর একটি।
নেপালে ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত বিমান: 'পাইলট মানসিক চাপে ছিলেন, ককপিটে বসে কাঁদছিলেন, সিগারেট খাচ্ছিলেন'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা মানুষের স্বাস্থ্যের উপরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে জীবনযাত্রার সাথে রোগ-বালাইয়ের নিবিড় সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করেই যুক্তরাজ্যে এখন মেডিকেল পড়ুয়াদের শিক্ষায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন দেশটির নেতৃস্থানীয় ডাক্তারেরা। ব্রিটেনের চিকিৎসা বিজ্ঞানের একদল শিক্ষার্থী বলছেন, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা মানুষের স্বাস্থ্যের উপরে যে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে এই সম্পর্কে তাদেরকে বলতে গেলে কিছুই শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। তাদের ভাষ্য মতে, ক্লাসে তাদেরকে যা শেখানো হচ্ছে বাস্তব জীবনের রোগীদের সাথে আজকাল তার কমই মিল খুঁজে পাচ্ছেন তারা। দেশটির জেনারেল প্র্যাকটিশনার বা জিপি ডাক্তারেরা বলছেন, তাদের কাছে রোগীরা যে সব রোগ-বালাই নিয়ে আসেন এর শতকরা ৮০ ভাগই রোগীদের জীবনযাত্রা আর ডায়েট বা খাদ্যাভাসের সাথে জড়িত। বিভিন্ন রোগের মধ্যে স্থুলতা বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থেকে শুরু করে টাইপ-২ ডায়বেটিস এবং বিষণ্নতার মতন দীর্ঘস্থায়ী অষুখও রয়েছে। এবছর যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস কেবল ডায়বেটিসের পেছনেই ১১ বিলিয়ন পাউন্ড খরচা করতে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। আরো পড়ুন:প্রিন্সের ভাতা কমালো বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট কওমী শিক্ষা বোর্ডের নেতাদের মধ্যে বিরোধ কেন? বিবিসি ওয়ানের স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ডা. মাইকেল মোসলি বলেন, "পুষ্টিবিদ্যা আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্রের গতানুগতিক প্রশিক্ষণের অংশ নয়। মেডিকেল স্কুলে আমরা এই বিষয়ে কিছুই শিখিনি। এখন আমার ছেলেও মেডিকেল স্কুলে পড়ে, আর তার শিক্ষাক্রমেও এই বিষয়ে কিছু শেখানো হয় না।" "তাই আমার মনে হয় অধিকাংশ ডাক্তাররা রোগীদের এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।" বলা হচ্ছে, জীবনযাত্রার সাথে যেসব রোগ জড়িত এর মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসজনিত স্থূলতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন অন্তত ৮০ ভাগ রোগীর সমস্যাই সামগ্রিক অর্থে জীবনযাত্রার অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যে স্থূলতার পরিমাণ এতোই বেড়েছে যে দেশটি এখন 'ফ্যাট ম্যান অফ ইউরোপ' বা 'ইউরোপের সবচেয়ে মোটা ব্যক্তি' নামে খ্যাত হয়ে উঠছে। বিবিসি রেডিও ফোরের 'দি ফুড' প্রোগাম অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় লেখক ও পডকাস্ট হোস্ট ড. রঙ্গন চ্যাটার্জি বলেছেন, গত ৩০-৪০ বছরে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিষয়ক চিত্র নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে। ড. চ্যাটার্জির মতে, দীর্ঘদিন ধরে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন অন্তত ৮০ ভাগ রোগীর সমস্যাই সামগ্রিক অর্থে জীবনযাত্রার অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত। তাই, এই বাস্তবতা মোকাবেলা করতে ড. চ্যাটার্জি এবং কার্ডিওলোজিস্ট ড. অসীম মালহোত্রাসহ নেতৃস্থানীয় অন্যান্য ডাক্তারেরা মিলে ব্রিটেনের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল, মেডিকেল স্কুলস কাউন্সিল এবং দেশটির খোদ হেল্থ সেক্রেটারি বরাবর এক পত্র লিখেছেন। সেই পত্রে তাদের মূল বক্তব্য ও তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের মেডিকেল পড়ুয়াদেরকে শুধু বইয়ের উদাহরণের ভেতরে আবদ্ধ না রেখে বাস্তবের বিভিন্ন কেস স্টাডির ভিত্তিতে শিক্ষা দিতে। কেস স্টাডির ভিত্তিতে হাতে-কলমে শেখানো হলে লাইফস্টাইল বা জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাসকে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে নানান জটিল রোগ সারানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানবে বলেই মনে করছেন ড. চ্যাটার্জিসহ অন্যান্য ডাক্তারেরা। যুক্তরাজ্যের মেডিকেল স্কুলগুলো জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের নীতিমালা সাপেক্ষে নিজেদের মত করে পাঠ্যসূচি তৈরী করে। জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল এখন নতুন করে তাদের নীতিমালা নির্ধারণ করার কথা চিন্তা করছে। রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চিকিৎসাবিদ্যার শিক্ষার্থীদের পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি বলে মনে করছে তারা। মেডিকেল স্কুলগুলোও তাদের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের মেডিকেল বিভাগ বিবিসি'কে জানায় তারা পুষ্টিবিজ্ঞান সংক্রান্ত কোর্স দ্বিগুন করার কথা ভাবছে। ব্রিস্টল মেডিকেল স্কুলও নতুন করে পাঠ্যসূচি তৈরী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছে।
চিকিৎসা শিক্ষায় পুষ্টিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তি কতটা জরুরি?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্যান্ডউইথ কমানোর ফলে রবি ও গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবার গতি কমে যেতে পারে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ আর রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমানোর জন্য আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আদেশের কপি পাওয়ার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে বলে তিনি জানান। ব্যান্ডউইথ কমানোর ফলে সংস্থা দুটির ইন্টারনেট সেবার গতি কমে যেতে পারে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। এর আগে বকেয়া হিসাবে গ্রামীণফোনকে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আর রবিকে ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি। তবে ওই পাওনা 'আইনগতভাবে ভিত্তিহীন' বলে দাবি করেছে গ্রামীণফোন। আরো পড়ুন: 'মোবাইল ফোন দিয়ে আমি কি করবো?' সাইবার হামলার শিকার বেশি নারীরা: প্রতিকার কী? ফেসবুক-ইউটিউবে নিয়ন্ত্রণ: কী করতে চায় সরকার? গ্রামীণফোনকে দেয়া নিষেধাজ্ঞা: পিছু হটলো বিটিআরসি দাবিকৃত বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি উল্লেখ্য, গত ২রা এপ্রিল গ্রামীণফোনকে একটি নোটিশের মাধ্যমে বিটিআরসিকে ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ১ লাখ টাকা আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা প্রদান করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। বিটিআরসির নিয়োগ করা একটি অডিট ফার্ম ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে এই বকেয়া তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয়। একই সঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের কাছে অডিটের মাধ্যমে গত ১৯ বছরে ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা বকেয়া প্রাপ্তি হয়েছে বলে দাবি করে সংস্থাটি। তবে রবির দাবি, হিসাব নিরীক্ষকরা যেসব কারণে বকেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন, তা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে যে কারণে চোখ রাখবেন অভিবাসী শিবিরে হামলায় এক বাংলাদেশি নিহত হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই যেভাবে করা হবে 'যুক্তরাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বেশি'
গ্রামীণ-রবির ব্যান্ডউইথ কমানোর নির্দেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভারতীয় সেনা বাহিনী বিবিসির কাছে একটি ছবি পাঠিয়ে দাবি করেছে গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষে চীন এই হাতে তৈরি লোহার রড অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে হিমালয় পর্বতমালায় চীন-ভারতের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত বিশ জন ভারতীয় সৈন্য এবং দুই পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চীন তাদের পক্ষে কোন হতাহতের খবর স্বীকার করেনি। সংঘর্ষে প্ররোচনা দেবার জন্য দু পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের এই এলাকা ভালভাবে চিহ্ণিত নয়। এই গালওয়ান উপত্যকার আবহাওয়া অত্যন্ত বৈরি, সেই সাথে এর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক ওপরে। এলাকাটি যে কোনরকম ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকে, যা স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ আরও কঠিন করে তোলে। আজ বৃহস্পতিবার ভারত সংঘর্ষে চীন ব্যবহার করেছে বলে যে অস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে, সেটি দেখা যাচ্ছে লোহার রডের ওপর পেরেক পোঁতা হাতে তৈরি একটি অস্ত্র। ভারতীয় সেনা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসির কাছে এই ছবিটি দিয়ে জানিয়েছে চীন গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা প্রথম এই ছবি টুইটারে দেন এবং এধরনের অস্ত্র ব্যবহারকে "বর্বরতা" বলে বর্ণনা করেন। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই দুই দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ঐ চুক্তিতে। এই ছবি ভারতে টুইটারে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে চীনা বা ভারতীয় কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। ভারতে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে খাড়া পর্বতের প্রায় ১৪ হাজার ফুট (৪,২৬৭ মিটার) উচ্চতায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং কিছু সৈন্য পা পিছলে খরস্রোতা গালওয়ান নদীতে পড়ে গেছেন, যেখানে শৈল প্রবাহের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে। বিবিসি বাংলার দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ বলছেন একটিও গুলি বিনিময় না হবার পরেও কীভাবে সংঘর্ষে ২০জন ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানি ঘটল তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করার পর দেশটির সেনা বাহিনী এই ছবি প্রকাশ করেছে এবং ধারণা দিতে চাইছে যে এই সংঘর্ষে চীনের আচরণ কোনও মতেই ''সামরিক বাহিনী সুলভ'' ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ছোটখাট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জন্য পরষ্পরকে দুষছে ভারত ও চীন চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্‌ দেশ কার পক্ষ নেবে লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক বৈঠকে যা ঘটল গালওয়ান ভ্যালি: পর্বতচূড়ায় ঠান্ডা ও বৈরি এক যুদ্ধক্ষেত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এই সংঘর্ষে ৪৩জন চীনা সৈন্য হতাহত হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু চীন এখনও পর্যন্ত হতাহত নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি। কিছু ভারতীয় সৈন্য এখনও নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে এএফপি বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে ভারত দুবার সীমান্ত অতিক্রম করে চীনের এলাকায় ঢুকেছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, "ভারতীয় সেনারা চীনা সৈন্যদের ওপর হামলা চালিয়ে প্ররোচনা দিলে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের হাতাহাতি সংঘর্ষ হয়।" বুধবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর ট্রাক লাদাখ অভিমুখে যায় কোন গোলাগুলি ছিল না কেন? লাদাখে গালওয়ান নদী উপত্যকায় আবহাওয়া খুবই বৈরি এবং এলাকাটি পাহাড়ের খুবই উঁচুতে। এটি দুই দেশের মধ্যকার ডি-ফ্যাক্টো সীমান্ত, যাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি বলে তার পশ্চিম অংশে এবং আকসাই চীনের কাছে, যেটি বিতর্কিত একটি অঞ্চল। এটি চীন-শাসিত, কিন্তু এর মালিকানা ভারত দাবি করে। সীমান্তে প্রথাগত অস্ত্র ব্যবহার করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এটাই প্রথমবার লড়াই নয়। দুদেশের মধ্যে অস্পষ্টভাবে চিহ্ণিত ৩,৪৪০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এলএসিতে ভূখন্ডের মালিকানা নিয়ে দুদেশের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাতের ইতিহাস পুরনো। সীমাান্তে শেষবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ১৯৭৫য়ে যখন অরুণাচল প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গিরিপথে চারজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের ঘটনাকে সাবেক কূটনীতিকরা আকস্মিক আক্রমণ ও দুর্ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এরপর আর কোন বুলেট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। এরপর দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে চুক্তি হয় যে, এলএসির দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন পক্ষই গোলাগুলি চালাবে না বা কোন কারণে কোনরকম বিস্ফোরক ব্যবহার করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে লাদাখেই সীমান্তবর্তী প্যাংগং লেকে এবং সিকিম ভারত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি না হলেও দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে
চীন-ভারত সংঘর্ষ: গালওয়ান উপত্যকায় পেরেক লাগানো রড ব্যবহার হয়েছে বলে ভারতের দাবি
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ফাইল ফটো: বাংলাদেশে সংঘর্ষ আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিবিসিকে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের সাথে সমঝোতার সম্ভাবনা নেই বলে তারা মনে করছেন। তোফায়েল আহমেদ বলছিলেন, “ তফসিল হয়ে গেছে। মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে। এ যাত্রায় ফলপ্রসূ আলোচনা করার কোন সম্ভাবনা আমি দেখি না।” তিনি আরও বলেছেন, “ বিএনপির দেওয়া প্রস্তাব আমরা দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা করেছি। বিএনপিও হয়তো আমাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু এরপর বিএনপিও আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেনি। সত্যি কথা কথা বলতে, আমরাও যোগাযোগ করিনি। আসলে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আলোচনা করে কোন ফলাফল পাওয়া যাবে , এটা আমার বিশ্বাস হয় না। ” ওদিকে আজই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা দু’পক্ষ এর আগে তিনি যে আলোচনা করেছেন, এরপর এখন সরকারের দিক থেকে আলোচনার দিনক্ষণ তাদের আর জানানো হচ্ছে না। এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা আজ বৈঠক করছেন। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সমঝোতা সম্ভব কি-না এখন সে বিষয়েই নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আওয়ামী লীগের দুজন সিনিয়র নেতা মন্তব্য করেছেন যে দশম সংসদ নির্বচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই। ফলে আলোচনা হতে হবে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বললেন ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সমঝোতার কোন সম্ভাবনা তারা দেখছেননা। বিএনপির সঙ্গে তিন দফা আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে মিস্টার আহমেদ ছিলেন। সপ্তাহ খানেক আগে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ঢাকায় এসেছিলেন। তখন তাঁর উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতারা আলোচনায় বসেছে। সর্বশেষ দু দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে গত শুক্রবার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন শুক্রবারের বৈঠকে দু পক্ষ পরস্পরের কাছে স্ব স্ব প্রস্তাব দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির দেয়া প্রস্তাব নিয়ে তাদের নীতি নির্ধারনী ফোরামে আলোচনার পর আবার বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আর কিছু জানায়নি বলে মিস্টার আলমগীর উল্লেখ করেছেন। তোফায়েল আহমেদ অবশ্য বলেছেন সংবিধানের বাইরে সমঝোতার কোন সুযোগ তারা দেখছেননা। সে কারণেই কোন পক্ষ থেকেই আলোচনার উদ্যোগ নেই। তবে বিএনপি নেতা আলমগীর তার বিবৃতিতে বলেছেন এখনো দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের সুযোগ রয়েছে এবং সরকার তাতে এগিয়ে আসবে বলে তারা মনে করেন। দলটির আরেকজন সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বিবিসিকে বলেছেন তারা দশম সংসদ নির্বাচন নিয়েই তাদের দাবিতে সমাধান চান।
সংকট নিরসনের আলোচনায় অনিশ্চয়তা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
প্রশ্ন ও শিক্ষার্থীদের উত্তর দেয়ার চেষ্টা সমন্বিত উত্তর পত্রের ছবি চীনের সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক 'যদি একটি জাহাজে যদি ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগল থাকে, তাহলে ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনের বয়স কতো?' - ঠিক এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল চীনের শুনকিং জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষায়। ঐ পরীক্ষার্থীদের গড় বয়স মাত্র ১১ বছর। প্রশ্ন আর শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয়ার যে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছে, সেই উত্তরপত্রের ছবি চীনের সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও দেশটির শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এটি কোন ভুল নয়। বরং এর মাধ্যমে আসলে জটিলতার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে জটিল হলেও সাধ্যমত সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। একজন লিখেছে, ''ক্যাপ্টেনের বয়স হবে কমপক্ষে ১৮, কারণ একটি জাহাজ চালানোর জন্যে তাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।'' আরেকজন লিখেছে, ''তার বয়স ৩৬, কারণ ২৬+১০ মিলে হয় ৩৬। কারণ ক্যাপ্টেন তার বয়স অনুযায়ী প্রাণীগুলো নিয়েছেন।'' তবে দেখা গেল একটি ছাত্র বেশ সহজেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। সে লিখেছে, ''ক্যাপ্টেনের বয়স হলো ....আমি জানি না ...। আমি এই প্রশ্নের সমাধান করতে পারবো না।'' প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার জন্য ঠিক কতো নম্বর দেয়া হবে, নাকি সেটা বোনাস হিসাবে আছে, সেটা পরিষ্কার নয় তবে অনলাইন জগতের সবাই কিন্তু এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মতো অতটা নম্র নন। চীনের ক্ষুদে-বার্তার সামাজিক নেটওয়ার্ক উইবোতে একজন লিখেছেন, ''এরকম প্রশ্ন করার কোন যুক্তি নেই। ঐ শিক্ষক নিজে কি এর উত্তর জানেন?'' ''একটি স্কুলে যদি ২৬ জন শিক্ষক থাকেন, যাদের ১০ জন কোন চিন্তাভাবনা করেন না, তাহলে প্রিন্সিপালের বয়স কতো?'' - আরেকজন লিখেছেন। তবে কেউ কেউ স্কুলের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন, যদিও প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। একজন বলছেন, ''পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করা। সেটা ভালোভাবেই করা হয়েছে।'' ''এই প্রশ্নটি শিশুদের চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করবে এবং তাদের সৃষ্টিশীল হতে সাহায্য করবে। আমাদের এরকম আরো প্রশ্ন থাকা উচিত,'' উইবোতে আরেকজনের অভিমত। 'প্রথার বাইরে চিন্তাভাবনা' এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর ২৬শে জানুয়ারি একটি বিবৃতিতে শুনকিং শিক্ষা দপ্তর বলছে, এর উদ্দেশ্য ছিল জটিলতার ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত এবং তাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা পরীক্ষা করা। ''অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অংকের জটিল পরিস্থিতি সমাধান করার বিষয়ে প্রস্তুতির অভাব রয়েছে,'' এমন কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। প্রথাগতভাবে চীনের শিক্ষা পদ্ধতি খাতায় লিখে নেয়া আর পুনরাবৃত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে সমালোচকরা বলে আসছেন। শিক্ষা দপ্তর বলছে, এই প্রশ্নের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদেরকে সেই বাধা ভাঙ্গার চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে, ফলে তারা প্রথার বাইরে গিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারছে। তবে আপনি সব সময় এমন মানুষ পাবেন, যাদের কাছে সব প্রশ্নের জবাব রয়েছে। ''একেকটা প্রাণীর গড় ওজন হিসেব করলে ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগলের মোট ওজন হয় সাত হাজার ৭০০ কেজি,'' উইবোতেই একজন উত্তর দিয়েছেন। ''চীনে পাঁচ হাজার কেজির বেশি মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ চালাতে হলে, একজন নাবিকের অন্তত পাঁচ বছর ধরে বোট চালানোর লাইসেন্স থাকতে হয়। আর এ ধরণের একটি বোট লাইসেন্স পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স হলো ২৩ বছর। তাই এই ক্যাপ্টেনের বয়স অন্তত ২৮ বছর।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যে সফটওয়্যার হয়তো মৃত্যুর খবর দিতে পারবে 'ক্ষতি এড়িয়ে শুধু ভালোটা দিতে পারলে ভালো লাগতো' একটি কিডনীর জন্য সাবিনার আকুতি
জাহাজে ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগল থাকলে ক্যাপ্টেনের বয়স কতো?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আল আরাবিয়া টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌদি আরব ইরানের সহযোগিতা চায়। তবে সৌদি যুবরাজ মনে করিয়ে দেন যে ইরানের সাথে তাদের কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে - ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড, মিসাইল পরীক্ষা করা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত অস্ত্রধারীদের সহায়তা করা। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সৌদি আরব তাদের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক মিত্রদের সাথে কাজ করছে। সৌদি যুবরাজের মন্তব্য এমন এক আসলো যখন খবর বেরিয়েছে যে ইরান এবং সৌদি আরবের কর্মকর্তারা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইরাকে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। সৌদি আরবের সূত্রগুলো এ ধরণের খবর অস্বীকার করেছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা স্বীকার কিংবা বাতিল করা হয়নি। ইরান বলেছে, তারা যে কোন ধরণের সংলাপ স্বাগত জানায়। আরো পড়ুন: সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা সৌদি আরব এবং শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য বহু দশক যাবত উত্তেজনা চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে পরষ্পরের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ায় উত্তেজনা আরো বেড়েছে। বিশেষ করে, ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর জোট ইয়েমেনে সরকার-সমর্থিত বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে ২০১৫ সাল থেকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে হুতি বিদ্রোহীদের। তবে বিদ্রোহীদের কোন ধরণের অস্ত্র দেবার কথা অস্বীকার করে ইরান। এছাড়া লেবানন এবং ইরাকে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব। মঙ্গলবার রাতে প্রচারিত হওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের যুবরাজ বলেন, তার দেশ চায় না যে ইরানের সাথে সম্পর্ক জটিল হয়ে যাক। "সবকিছুর পরেও ইরান আমাদের প্রতিবেশী এবং আমরা তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক চাই," বলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। ইরান সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এই মন্তব্য অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সংযত। এর আগে ২০১৮ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে হিটলারের সাথে তুলনা করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। ইয়ামেনের যুদ্ধ সম্পর্কে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোন দেশ চাইবে না যে তার সীমান্তে অস্ত্রধারী মিলিশিয়ারা থাকুক। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আলোচনা টেবিলে বসে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান সৌদি যুবরাজ।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের সাথে ভালো সম্পর্ক চান
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
আটক হওয়া তিন ব্যক্তি যারা ইসলামবার্গ সম্পদ্রায়ের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ মুসলিমদের একটি ছোট গোষ্ঠী বা কমিউনিটির বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই তিন ব্যক্তি ও এক কিশোরের বিরুদ্ধে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে হাতবোমা ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে ও বলা হচ্ছে ইসলামবার্গ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন তারা। এই সম্প্রদায়টি আশির দশকে পাকিস্তানী একজন ধর্মীয় নেতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই ইসলামবার্গ গোষ্ঠীকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা কথা বলা হচ্ছিলো যে এটা আসলে 'সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প'। আটক তিন ব্যক্তিকে বুধবার আদালতে তোলার কথা রয়েছে। ইসলামবার্গ কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানী একজন ধর্মীয় নেতা তদন্তকারীরা বলছেন আটক কিশোরের বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং আরও অন্তত ২৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। নিউইয়র্ক রাজ্যে গ্রীস শহরের পুলিশ প্রধান বলছে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর স্কুলে এ বিষয়ে কথা বলার সময় অন্যরা শুনে ফেলে এবং তার ভিত্তিতেই পরে তদন্ত শুরু হয়। ইসলামবার্গ কমিউনিটি বিংহ্যামটন শহরের কাছে ক্যাটস্কিল পর্বতের পশ্চিমে বসবাস করে। মূলত আফ্রিকান-আমেরিকান একটি গ্রুপ নিউইয়র্ক থেকে সরে সেখানে বসতি গড়ে। এর আগে ২০১৭ সালে এই সম্প্রদায়ের একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একজনকে কারাদণ্ড দিয়েছিলো আদালত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নারী নাজমুন নাহারের আফ্রিকা দর্শন 'যৌন প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তিনদিন খেতে দেয়নি' কবুতরের সংস্পর্শে রোগ হতে পারে মানুষের শরীরে?
নিউইয়র্কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক ৪
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ল্যারি কিং - ছয় দশকের অনন্য সাংবাদিক জীবনের অবসান ঘটলো। ছয় দশক ধরে বিস্তৃত সাংবাদিকতার কেরিয়ারে ল্যারি কিং প্রায় ৫০,০০০ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৫ বছর তিনি সিএনএন টিভির জনপ্রিয় ল্যারি কিং লাইভ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন। তিনি লস এঞ্জেলসের সেডার্স-সাইনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে এর আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ল্যারি কিং হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। পাশে বসা ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর। মি. কিং তার কর্মময় জীবনে বহু বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির সাক্ষাতকার নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন লেডি গাগা, ফ্র্যাংক সিনাত্রার মতো জন-নন্দিত গায়ক থেকে শুরু করে দলাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা ও ভ্লাদিমির পুতিনের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। "৬৩ বছর ধরে রেডিও, টিভি এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় ল্যারি যে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেসব পুরষ্কার পেয়েছেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন সেটাই ব্রডকাস্টার হিসেবে তার অন্য মেধার পরিচয় বহন করে, তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম ওরা মিডিয়ার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সিএনএন টিভিতে তার শেষ অনুষ্ঠানে ল্যারি কিং বলেছিলেন, " দর্শক আপনাদের কী বলবো জানিনা। ধন্যবাদ ছাড়া কী বা বলতে পারি। গুড বাই না বললেও বলছি, আবার দেখা হবে।" নিউইয়র্কে ২০০০ সালে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নেন।
করোনা ভাইরাস: মার্কিন টিভি ব্যক্তিত্ব ল্যারি কিং-এর জীবনাবসান
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। অনেকে ট্রলারে করে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল। - ফাইল ফটো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের কোনভাবেই বাংলাদেশে ভিড়তে দেয়া হবে না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে যে গত কয়েকদিন ধরে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা বহনকারী দুটি নৌকা মালয়েশিয়ায় ঢুকতে না পেরে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, এসব নৌকা বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্রে ভাসমান রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের কোন দায়িত্ব নেই। মি. মোমেন বলেন, "আমাদের কোন দায়বদ্ধতা নাই ওদের গ্রহণ করার। আমরা চাই না মানুষ মরুক। কিন্তু অন্যদের অগ্রসর হয়ে আসতে হবে।" এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে অবস্থানরত নারী, পুরুষ এবং শিশুদের ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, সাগরে অবস্থানরত শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে সকল রাষ্ট্রের অধিকতর সমন্বয় এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া প্রয়োজন। লন্ডন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, সমুদ্রে আটকে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেন বাংলাদেশ উদ্ধার করে এবং তাদের গ্রহণ করে। সংস্থাটি বলছে, দুটি নৌকায় প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে। তারা মালয়েশিয়ায় ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে এখন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় আছে। রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করার বিষয়ে অন্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করে সেজন্যও আহবান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত সপ্তাহে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা ভর্তি একটি ট্রলারকে বাংলাদেশে ভিড়তে দেয়া হয়েছিল। সে ট্রলারটি মালয়েশিয়ায় ঢুকতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রায় দুই মাস সমুদ্রে ছিলেন রোহিঙ্গারা। খবরে বলা হচ্ছে যে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাগুলোকে সেদেশে ভিড়তে দিচ্ছে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। "কয়দিন পরে পরে মায়ানমারের লোকগুলো সমুদ্রে যায় এবং খুব কষ্টে থাকে। তখন আমাদের বলা হয়, আপনারা ওদের নিয়ে নেন। আমাদের ইউএনএইচসিআর অনুরোধ করে - ওরা মরে যাচ্ছে আপনারা নেন," বলছিলেন মি. মোমেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। তার মতে, কেউ যদি গভীর সমুদ্রে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব হচ্ছে গভীর সমুদ্রের আশপাশের দেশগুলোর। "কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের এই এলাকায় যেসব দেশ আছে - থাইল্যান্ড বলেন, মালয়েশিয়া বলেন, ভারত বলেন, ফিলিপিন্স বলেন - তাদের কাছে কেউ গিয়ে রিকোয়েস্ট করে না এদের (রোহিঙ্গাদের) নিয়ে যাওয়ার জন্য।" বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মি. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় নয়, বরং এরা অবস্থান করছে গভীর সমুদ্রে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সামালোচনা করে বলেন, এই সংকট সমাধানের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের উপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে না। ইউরোপের দেশগুলো মিয়ানমারের উপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ না করে, উল্টো তাদের নানা রকম বাণিজ্যিক সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আমরা রোহিঙ্গাদের একবার নিয়েছি বলে সব সময় নিতে হবে? ইজ ইট দ্য রুল অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এটাই কি পৃথিবীর নিয়ম)?"
সাগরে ভাসছে ৫০০ জন রোহিঙ্গা, গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ - বলছে কোন দায়বদ্ধতা নেই
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
১৩ই মার্চ বিকেল থেকে এক মাসের বেশি সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে যাওয়া মঙ্গলবার সকালে ভারতে ঢুকতে চেয়েও পারেননি এই শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এই শিক্ষার্থী দলের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থল বন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ শিক্ষার্থী আছে, তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছে। তারা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এরা ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশালে নানা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে ১৬ই মার্চ। ভারতে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৩ই মার্চ রাতে। কিন্তু এই সময়ে ভারতে ভারতের নাগরিকরা যাতায়াত করতে পেরেছে। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন কবির তরফদার কথা বলেন বিবিসি বাংলার সাথে, তিনি বলেন, "ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে ঢুকেছে বেরও হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক এবং বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকা বন্ধ ১৩ই মার্চ থেকে।" সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ঘোষণা করেছে লকডাউন। মি. মামুন বলেন, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের বেনাপোলে ভীড় বেড়েছে। প্রচুর ভারতীয় গতকাল ভারতে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে আজ সকালে। "কাশ্মীরের এই ছাত্রের দল হয় জানতো না নতুবা দেরি করে ফেলেছে। এখন আমরা ভারতের ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে যোগাযোগ করছি।" সকালে যখন কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের ভারতের ইমিগ্রেশন ফিরিয়ে দেয় তখনই ভারত অংশের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মি. মামুন। তিনি বলছেন, "তারা তো বলছে ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।" কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলছে তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা এম্বাসির সাথে কথা বলে এসেছে। "সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগাল ভিসা, আমরা এখন কী করবো জানিনা।"
করোনাভাইরাস: বেনাপোলে আটকে পড়েছে শতাধিক কাশ্মীরি শিক্ষার্থী, ঢুকতে দিচ্ছে না ভারত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
স্যালসবারি শহরে সাবেক এক রুশ ডাবল এজেন্টকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার পর ব্রিটেন এই ঘটনার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ইংল্যান্ডের স্যালসবারি শহরে এ মাসের ৪ তারিখে সাবেক এক রুশ ডাবল এজেন্টকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার পর ব্রিটেন এই ঘটনার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করে কদিন আগে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। কিন্তু কোন দেশ কেন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে? যখন একজন কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়, তখন আসলে কি ঘটে? আরো পড়ুন: সিরিয়ার পরিস্থিতি আসলে কোন পর্যায়ে আছে? বিশেষ বিমানে ঢাকায় আনা হচ্ছে ২৩ জনের মৃতদেহ কেন কোন দেশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে? সারা বিশ্বেই কূটনীতিকরা যে দেশে কাজ করেন, সেখানে ইম্যুনিটি বা সাধারণ ক্ষমার আওতায় থাকেন। তার মানে, তাদের সেসব দেশে বিচার করা যাবে না। কিন্তু তারা যদি আইন ভাঙ্গেন বা ঐ দেশ বিরোধী কোন কাজ করেন, কিংবা কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের এসব অধিকার প্রত্যাহার করার অধিকার রয়েছে। যেমনটা এখন ঘটেছে ব্রিটেন আর রাশিয়ার মধ্যে। কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের ৯ আর্টিকেলে বলা আছে, যে কোন দেশ যেকোনো কারণে কোন ব্যক্তিকে 'নন গ্রাটা' বা ঐ দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে ঘোষণা করতে পারবে। দুই সপ্তাহ পরেও স্যালসবারির ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ কে এসব সিদ্ধান্ত নেন? হোস্ট কান্ট্রি বা যে দেশে কূটনীতিকরা কাজ করেন, সেই দেশটি সিদ্ধান্ত নেয়, কে থাকবে আর কে চলে যাবে। যেমন শনিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের চলে যেতে হবে। তিনি তার কর্মীদের সেই তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে জানানোর নির্দিষ্ট কোন নিয়মনীতি নেই। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সংশ্লিষ্ট দেশ যেমন জানিয়ে দিতে পারে, অথবা আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক চিঠিও পাঠাতে পারে। ভেনিজুয়েলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিক ডুডি যখন ওয়াশিংটনে ছিলেন, তখন তাকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ফোন করে বলা হয়, তাকে আর ভেনিজুয়েলায় যেতে হবে না। কারণ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো চ্যাভেজ তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছেন। বহিষ্কারের নির্দেশ পাওয়ার পর মস্কোয় ব্রিটিশ দূতাবাসের বিদায় অনুষ্ঠান একজন কূটনীতিককে চলে যেতে বলার পর কি ঘটে? কাউকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলার মানে তাকে চলে যেতে হবে। সেটা প্রত্যাখ্যান করা মানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা, যা হয়তো বড় ধরণের সংকটের জন্ম দিতে পারে। এবার যেমন রাশিয়া ব্রিটিশ কূটনীতিকদের দেশ ছাড়তে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। কখনো কখনো সেটি ৭২ ঘণ্টা বা মাত্র ২৪ ঘণ্টাও হয়ে থাকে। ''এই সময়ে আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না। আপনার প্রধান কাজ হবে সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়া'' বলছেন ব্রিটিশ সাবেক কূটনীতিক জন এভার্রেড। এই কর্মীরা কি আবার কখনো ফিরে যেতে পারে? সাবেক কূটনীতিক স্যার ক্রিস্টোফার মেয়ের বলছেন, এটা আসলে খুবই বিরল ঘটনা যে, একবার বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবার কেউ কূটনীতিক হিসাবে সেই দেশে ফিরে গেছেন। এ ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই, তবে কারো ফিরে যাওয়ার কথাও তার জানা নেই। বহিষ্কৃত কূটনীতিক দেশে ফিরে আসার পর কি ঘটে? আবার সেই দেশে ফেরত যাবার অপেক্ষায় এই কূটনীতিকদের বসিয়ে রাখা হয় না। তাদের নতুন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। এমনকি ওই দেশের ভাষার বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা থাকলেও। স্যার ক্রিস্টোফার বলছেন, বেশিরভাগ কূটনীতিক কর্মকর্তার কোন বিশেষ ভাষায় দক্ষতা থাকে। কিন্তু তার আরো অনেক দক্ষতাও থাকে। আর তাই পররাষ্ট্র দপ্তরে তার কাজের আরো অনেক সুযোগও থাকে।
রাশিয়ার গুপ্তচরকে বিষপ্রয়োগ: কোন দেশ আরেক দেশের কূটনীতিক বহিষ্কার করলে কি ঘটে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বিতর্কিত এই পবিত্র স্থানের ইতিহাস পর্যালোচনা করেছে বিবিসি নিউজ। ১৫২৮: কিছু হিন্দুদের মতে, হিন্দুধর্মের অন্যতম আরাধ্য দেবতা রাম যেখানে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়। ১৮৫৩: ধর্মকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মত সহিংসতার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ১৮৫৩: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন দুই ধর্মের উপাসনার জায়গা আলাদা করার উদ্দেশ্যে বেষ্টনী তৈরি করে। বেষ্টনীর ভেতরের চত্বর মুসলিমদের জন্য এবং বাইরের চত্বর হিন্দুদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়। ১৯৪৯: মসজিদের ভেতর ইশ্বর রামের মূর্তি দেখা যায়। হিন্দুদের বিরুদ্ধে মূর্তিগুলো রাখার অভিযোগ ওঠে। মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় এবং দুই পক্ষই দেওয়ানি মামলা করে। সরকার ঐ চত্বরকে বিতর্কিত জায়গা বলে ঘোষণা দেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। ১৯৮৪: বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতৃত্বে ইশ্বর রামের জন্মস্থান উদ্ধার এবং তার সম্মানের একটি মন্দির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে হিন্দুরা। তৎকালীন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি (পরবর্তীতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ঐ প্রচারণরা নেতৃত্ব নেন। ১৯৮৬: জেলার বিচারক আদেশ দেন যেন বিতর্কিত মসজিদের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়ে হিন্দুদের সেখানে উপাসনার সুযোগ দেয়া হয়। মুসলিমরা এর প্রতিবাদে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করে। ১৯৮৯: বিতর্কিত মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপান করে নতুন প্রচারণা শুরু করে ভিএইচপি। ১৯৯০: ভিএইচপি'র কর্মীরা মসজিদের আংশিক ক্ষতিসাধন করে। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর আলোচনার মাধমে বিতর্ক সমাধানের চেষ্টা করলেও তা পরের বছর বিফল হয়। ১৯৯১: অযোধ্যা যে রাজ্যে অবস্থিত, সেই উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ১৯৯২: ভিএইচপি, বিজেপি এবং শিব সেনা পার্টির সমর্থকরা মসজিদটি ধ্বংস করে। এর ফলে পুরো ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে হওয়া দাঙ্গায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। ১৯৯৮: প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির অধীনে জোট সরকার গঠন করে বিজেপি। ২০০১: মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঐ স্থানে আবারো মন্দির তৈরির দাবি তোলে ভিএইচপি। জানুয়ারি ২০০২: নিজের কার্যালয়ে অযোধ্যা সেল তৈরি করেন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি। সিনিয়র কর্মকর্তা শত্রুঘ্ন সিংকে নিয়োগ দেয়া হয় হিন্দু ও মুসলিম নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য। ফেব্রুয়ারি ২০০২: উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের তফসিলে মন্দির তৈরির বিষয়টি বাদ দেয় বিজেপি। ভিএইচপি ১৫ই মার্চের মধ্যে মন্দির নির্মানকাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়। শত শত স্বেস্বচ্ছাসেবক বিতর্কিত স্থানে জড়ো হয়। অযোধ্যা থেকে ফিরতে থাকে হিন্দু অ্যাক্টিভিস্টদের বহনকারী একটি ট্রেনে হামলার ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন মারা যায়। মার্চ ২০০২: ট্রেন হামলার জের ধরে গুজরাটে হওয়া দাঙ্গায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার মানুষ মারা যায়। এপ্রিল ২০০২: ধর্মীয়ভাবে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত জায়গাটির মালিকানার দাবিদার কারা, তা নির্ধারণ করতে তিনজন হাইকোর্ট বিচারক শুনানি শুরু করেন। জানুয়ারি ২০০৩: ঐ স্থানে ইশ্বর রামের মন্দিরের নিদর্শন আছে কিনা, তা যাচাই করতে আদালতের নির্দেশে নৃতত্ববিদরা জরিপ শুরু করেন। অগাস্ট ২০০৩: জরিপে প্রকাশিত হয় যে মসজিদের নিচে মন্দিরের চিহ্ন রয়েছে, কিন্তু মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। হিন্দু অ্যাক্টিভিস্ট রামচন্দ্র পরমহংসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি বলেন তিনি মৃত ব্যক্তির আশা পূরণ করবেন এবং অযোধ্যায় মন্দির তৈরি করবেন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আদালতের সিদ্ধান্তে এবং আলোচনার মাধ্যমে এই দ্বন্দ্বের সমাধান হবে। সেপ্টেম্বর ২০০৩: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেছনে উস্কানি দেয়ায় সাত জন হিন্দু নেতাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে রুল জারি করে একটি আদালত। তবে সেসময়কার উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানির - যিনি ১৯৯২ সালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন - বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। অক্টোবর ২০০৪: বিজেপি নেতা আদভানি জানান তার দল এখনও অযোধ্যায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা 'অবশ্যম্ভাবী। নভেম্বর ২০০৪: উত্তর প্রদেশের একটি আদালত রায় দেয় যে মসজিদ ধ্বংস করার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় মি. আদভানিকে রেহাই দিয়ে আদালতের জারি করা পূর্ববর্তী আদেশ পুনর্যাচাই করা উচিত। জুলাই ২০০৫: সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গীরা বিস্ফোরক ভর্তি একটি জিপ দিয়ে বিতর্কিত স্থানটিতে হামলা চালিয়ে সেখানকার চত্বরের দেয়ালে গর্ত তৈরি করে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী'র হাতে নিহত হয় ছয়জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই জঙ্গি বলে দাবি করে নিরাপত্তা রক্ষীরা। জুন ২০০৯: মসজিদ ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে থাকা লিবারহান কমিশন তদন্ত শুরু করার ১৭ বছর পর তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। নভেম্বর ২০০৯: প্রকাশিত লিবারহান কমিশনের প্রতিবেদনে মসজিদ ধ্বংসের পেছনে বিজেপি'র শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় এবং এনিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়। সেপ্টেম্বর ২০১০: আল্লাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় যে স্থানটির নিয়ন্ত্রণ ভাগাভাগি করে দেয়া উচিত। কোর্টের রায় অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ মুসলিমদের, এক-তৃতীয়াংশ হিন্দুদের এবং বাকি অংশ 'নির্মোহী আখারা' গোষ্ঠীর কাছে দেয়া উচিত। যেই অংশটি বিতর্কের কেন্দ্র, যেখানে মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল, তার নিয়ন্ত্রণ দেয়া হয় হিন্দুদের কাছে। একজন মুসলিম আইনজীবী বলেন যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। মে ২০১১: ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম দুই পক্ষই আপিল করায় হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট । নভেম্বর ২০১৯: সে জায়গাটিতে মন্দির তৈরির পক্ষেই চূড়ান্ত রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক: ফিরে দেখা ইতিহাস
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। সেই থেকে এই প্রশ্নগুলোও ঘুরপাক খাচ্ছে যে যৌন হয়রানির সঙ্গে 'মি-টু' আন্দোলনের কোন পার্থক্য আছে কিনা। মূলত চলচ্চিত্রের তীর্থস্থান হলিউড থেকে এই 'মি-টু' আন্দোলন শুরু হয়। তারপর থেকে এর হলকা বয়ে যাচ্ছে উপমহাদেশের জনপ্রিয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডে। এখন সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে বাংলাদেশের ওই দুই নারীর যৌন নিপীড়নের অভিজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে সেই আন্দোলনের একটা প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। মি-টু আন্দোলনের পরিণতি কি? এই মি-টু আন্দোলনের পরিণতি কি হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মিডিয়ায় কর্মরত এক নারী। তিনি নিজেও এক সময় তারই এক জ্যেষ্ঠ পুরুষ সহকর্মীর আপত্তিকর আচরণের শিকার হয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বিবিসিকে জানান যে, এই আন্দোলনের শেষমেশ কোন পরিণতি নেই সেটা আঁচ করতে পেরেই তিনি নিজের অভিজ্ঞতাটি সামনে আনতে চাননি। যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, "আমিও চাইলেই আমার বিষয়টাকে সামনে আনতে পারি। কিন্তু এতে জল ঘোলা হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না। আমরা এই আন্দোলনের জন্য আসলে প্রস্তুত না। কারণ এখনও এদেশে আন্দোলনের শুরুটা অনেক সুন্দর দেখায়, তারপর এটার মিসইউজ হয়। যার প্রভাবে ওই ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হয় না।" ওই দুই নারীর সাহসিকতাকে স্বাগত জানালেও তিনি প্রশ্ন তোলেন এই 'মি-টু' মুভমেন্টের ফলাফল নিয়ে। তার মতে, পাশের দেশের অনুকরণে 'মি-টু' মুভমেন্টে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঠিকই। কিন্তু সেই দেশে এই 'মি-টু' আন্দোলনের ফলে যেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। তেমনি বাংলাদেশেও এটি ওই সামাজিক মাধ্যমেই স্ট্যাটাস এবং এ নিয়ে সাময়িক তোলপাড়ের মধ্যেই আটকে যাবে। এ নিয়ে বিবিসিকে তিনি বলেন,"যাদের অনুকরণে এই মুভমেন্টটা বাংলাদেশে এসেছে, সে দেশেই কি এই মুভমেন্টের কোন পরিণতি দেখা গেছে? কোন উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে? কেউ বিচার পেয়েছেন? তা তো হয়নি। মিডিয়ায় খালি তোলপাড় হয়, কিন্তু কোন কাজের কাজ কিছুই হয় না। মাঝখানে কিছু সুবিধাবাদী এই সুযোগটা নেয়। আমি কাউকে সেই সুযোগটা দিতে চাই না।" বেশিরভাগ নারী তাদের যৌন হেনস্তার অভিজ্ঞতা সামনে আনতে চান না। "নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে চাইনি" একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরেকজন নারীও নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এমন অভিজ্ঞতার কথা বিবিসিকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রোডাক্টের ফটো-শুটের বিষয়ে আমার আলোচনা হয়। মিটিংয়ের পর আমাকে নেয়ার বিষয়টা পুরোপুরি ফাইনাল হয়ে যায়। কিন্তু আমি যেদিন কন্ট্রাক্ট সাইন করতে যাব, সেদিন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। তিনি ওই মুহূর্তে সাইন না করিয়ে বলেন যে আমার সঙ্গে পরে কথা বলবেন।" "পরদিন আমাকে উনি ফোন দিয়ে জানান যে, তিনি কক্সবাজারে যাচ্ছেন। আমি ওনার সঙ্গে যেন যাই। আমি তার কণ্ঠ বা বলার ভঙ্গি দেখেই বুঝেছি, তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে আমার কাজের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পূর্ণ নোংরা একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তখন আমি কন্ট্রাক্টটা রিজেক্ট করে দেই।" "পরে এই কথা আর কাউকে বলিওনি। কারণ আমি জানি, এটা বলা মাত্র মানুষ আমাকেই দোষারোপ করবে যে আমি কেন মডেলিং করতে গেলাম। আমি কাদের সঙ্গে মিশি। আরও নানা কথা। নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে চাইনি।" যৌন হয়রানি এবং হ্যাশট্যাগ 'মি-টু': তবে ওই দুই নারীর নিজেদের 'মি-টু' অভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে ধরার পর এটি নিয়ে এই প্রথম এতো বেশি আলোচনা হচ্ছে। তবে যৌন হয়রানির ওপর পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে বাংলাদেশে আরো বহু সংখ্যক নারী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। ভারতে মিটু আন্দোলন তাহলে যৌন হয়রানির সঙ্গে এই 'মি-টু' আন্দোলনের পার্থক্যটা কোথায়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, যেসব যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে তার-সঙ্গে যদি 'মি-টু' মুভমেন্টের তুলনা করতে হয় তাহলে বলতে হবে যে 'মি-টু' মুভমেন্টের একটা বিশেষ প্রেক্ষাপট আছে। এই প্রেক্ষাপটকে তিনি তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। ১. আলোচিত ব্যক্তিবর্গ: অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, "আমেরিকায় আমরা যেটা দেখেছি যে, এই মুভমেন্টে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের সবাই কোন না কোন ক্ষেত্রে বিখ্যাত। যিনি ভিকটিম এবং যিনি অভিযুক্ত তারা দুজনেই তারকা কিম্বা তারকা না হলেও কোন না কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এ কারণেই মানুষ এই বিষয়টার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এতোটা আলোচিত হয়েছে।" ২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: এছাড়াও এই মুভমেন্ট ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। তিনি বলেন, "মেইনস্ট্রিম মিডিয়া একটা ফর্মাল প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে। এখানে তথ্য যাচাই বাছাইয়ের বিষয় থাকে। প্রচার হওয়া না হওয়ার বিষয় থাকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার পারসোনাল স্পেস আছে। এখানে যে কেউ চাইলেই তাদের অভিযোগ দায়ের করতে পারে। পুরনো বিষয় বলে এটা বাদ পড়ে যায় না। আর সেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে তার প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারে।" ৩. বলিউড: তাছাড়া ভারতে মুম্বাই ছবি-পাড়ার প্রভাবকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি। তার মতে বলিউডে যা কিছু হয় তার একটা প্রভাব বা প্রতিফলন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে থাকে। তিনি বলেন, "ফোকাসের জায়গাটায় আমাদের দেশ একটা প্রান্তিক জায়গায় আছে। আন্তর্জাতিকভাবে কোন বিষয়ে নাড়াচাড়া হলেই, আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়ে। আমরা কখনোই প্রাইমারি অ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারি না। তাই বাংলাদেশের এই 'মি-টু' মুভমেন্টে বলিউডের যে একটা প্রভাব রয়েছে সেটা অস্বীকারের উপায় নাই।" মানবাধিকার আন্দোলনের নেত্রী সুলতানা কামাল বাংলাদেশে 'মি-টু' আন্দোলন কি সফল হবে? বর্তমানে এই 'মি-টু'র পরিধি অনেক সীমিত হলেও যদি আরও নারী তাদের এই বিষয়গুলো প্রকাশের সাহস করেন, সেই-সঙ্গে যৌন নিপীড়নকে লজ্জার বিষয় না ভেবে এটাকে প্রতিবাদের জায়গায় নিয়ে যান তাহলে এই মি-টু মুভমেন্ট একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। তবে এই মি-টু আন্দোলনকে তিনি তখনই সফল বলবেন যখন এর মাধ্যমে বিচারের কোন নজির সৃষ্টি হবে। সুলতানা কামাল বলেন, "আমাদের সমাজে মেয়েদের কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, এছাড়া ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ আছে। এই সংস্কৃতিগুলোর সঙ্গে মি-টুর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে।" আরও পড়তে পারেন: যৌন হয়রানির প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল বাংলাদেশে মি-টু? মডেল প্রিয়তির অভিযোগে ফেসবুকে আলোড়ন 'মি টু' ক্যাম্পেনারদের নিজের বাবারাই যখন কাঠগড়ায় তবে তিনি মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে সাম্প্রতিক যে দুটো যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এসেছে সেগুলো যদি তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাবে। সুলতানা কামাল বলেন, "বিচারের উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলে আরও অনেক নারী সামনে এগিয়ে আসবে। তবে আমি বিশ্বাস করি নারীরা যতো বেশি তাদের সংকোচ ঝেড়ে সামনে এগিয়ে আসবে, তাদের কথাগুলো প্রকাশ করবে। সেখান থেকে পরিবর্তন আসবে।"
বাংলাদেশে 'মি-টু' আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
চীনা চন্দ্রযানের ভেতরে গজিয়েছে তুলার গাছের চারা। চাঁদের বুকে এই প্রথম কোন জৈব পদার্থের জন্ম হলো। চাঁদের যে উল্টো পিঠ - যা পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, - সেখানেই রয়েছে চীনা যন্ত্রযান চ্যাং'অ - ৪ থেকে পাঠানো এক ছবিতে দেখা গেছে এ দৃশ্য। চীনের মহাকাশ সংস্থা এ খবর দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানের প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত ৩রা জানুয়ারি চাঁদে অবতরণ করে চ্যাংঅ ৪ নামের চন্দ্রযান। চাঁদের উল্টো পিঠে এটাই প্রথম কোন মহাকাশযানের অবতরণ। এই যানে ছিল চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন বিশ্লেষণ করার যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ছিল মাটি, তুলা এবং আলুর বীজ, ফ্রুট ফ্লাই নামে এক ধরণের মাছির ডিম, এবং খামি বা ইস্ট নামের ছত্রাক - যা দিয়ে পাউরুটি তৈরি হয়। তুলোবীজ থেকে গজানো গাছের চারা রাখা হয়েছে চন্দ্রযানের ভেতর একটি বন্ধ কনটেইনারে। এখানে একটা বায়োস্ফিয়ার তৈরি করা হবে - যার মানে এমন এক কৃত্রিম পরিবেশ যেখানে একটি গাছ নিজেই নিজের খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারবে। এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গাছ গজানো হয়েছে। কিন্তু চাঁদের বুকে থাকা মহাকাশযানে কখনো করা হয়নি। চাঁদের বুকে চ্যাং'অ ফোর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাঁদের বুকে তাপমাত্রা অত্যন্ত পরিবর্তনশীল - কখনো চরম ঠান্ডা কখনো তীব্র গরম। কখনো তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের নিচে ১৭৩ ডিগ্রি পর্যন্ত, আবার কখনো তা উঠে যেতে পারে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও ওপরে। এই পরিবেশে একটা আবদ্ধ জায়গাতেও গাছপালা গজানোর মতো স্বাভাবিক তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, এবং মাটির পুষ্টিগুণ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। চাঁদের বুকে গাছের চারা গজানোর বিষয়টা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযান - যেমন মঙ্গলগ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মঙ্গলগ্রহে যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই বছর। চাঁদের বুকে চ্যাং'অ ফোর চাঁদে যদি গাছপালা গজানো সম্ভব হয় তাহলে, নভোচারীরা হয়তো সেখানে তাদের নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপন্ন করতে পারবেন। তার রসদপত্র সংগ্রহের জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে না। জৈব পদার্থ নিয়ে এসব পরীক্ষানিরীক্ষার ফলে কি চাঁদ দূষিত হয়ে পড়বে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, তেমন সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া মনে করিয়ে দেয়া দরকার যে এ্যাপোলোর নভোচারীদের ফেলে আসা মলমূত্র ভর্তি পাত্র এখনও চাঁদের বুকে রয়ে গেছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: শেখ দীন মাহোমেদ: কোটি মানুষ কেন খুঁজছে তাকে? জার্সিতে মায়ের নাম নিয়ে কেন খেলছেন ক্রিকেটাররা টিউলিপ সিদ্দিক: ব্রেক্সিট ভোটে তিনি কেন আলোচনায়?
চাঁদের বুকে গাছের চারা গজিয়েছে চীন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ট্রেন ভরে ভরে অযোধ্যায় আসছেন কট্টর হিন্দুরা প্ররোচনামূলক ভাষণ আর বাইরে থাকা আসা হাজার হাজার লোকের জমায়েতে পুরো অযোধ্যাই যেন উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'ধর্ম সংসদ' নামের সমাবেশ থেকে তাদের নেতা ও সাধুসন্তরা দাবি তুলেছেন, আদালতের অপেক্ষায় না-থেকে সরকারকে অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশ জারি করে হলেও মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অযোধ্যাতেই আজ সমান্তরাল আরও একটি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির শরিক ও মহারাষ্ট্রের হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা। ওই সভা থেকে শিবসেনার নেতা উদ্ধব ঠাকরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মন্দির বানানো না-হলে বিজেপি কিছুতেই ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তিনি স্লোগান দিয়েছেন, "আগে মন্দির, তারপর সরকার!" শিবসেনার ওই সভায় যোগ দিতে অন্তত পনেরোটি ট্রেন ভর্তি করে মহারাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার 'শিবসৈনিক' অযোধ্যায় এসেছেন। গত দুদিন ধরে উদ্ধব ঠাকরে নিজে শহরে রয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাতেও প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে বলে অযোধ্যা থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএসের সমর্থকরাও দলে দলে সেখানে যোগ দেন। তলোয়ার হাতে রাম মন্দির সমর্থকদের মিছিল মুসলিমদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি কট্টর হিন্দুদের এই সমাবেশ নিয়ে অযোধ্যায় মুসলিম বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই আতঙ্ক চলছে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ও বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সদস্য জাফরইয়াব জিলানি বলছেন, "গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাতে শহরের মুসলিমরা ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন।" অযোধ্যায় নিরাপদ বোধ না-করলে মুসলিমদের লখনৌতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের পাঁচটি কোম্পানি এখন অযোধ্যায় মোতায়েন আছে। প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টেবুলারির ৪২টি কোম্পানি ও হাজারখানেক পুলিশকর্মীও শহরে টহল দিচ্ছেন। ড্রোন দিয়েও সর্বক্ষণ আকাশ থেকে পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। তারপরও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব অবশ্য মনে করছেন এই নিরাপত্তাও যথেষ্ঠ নয় - অযোধ্যার যা পরিস্থিতি, তাতে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা দরকার। আরও পড়ুন: ইসির বিবৃতি-বক্তব্য-ভাষা নিয়ে প্রশ্ন কেন যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ অযোধ্যার 'ধর্মসভায়' যোগ দিতে দলে দলে হিন্দু সাধু এখন কেন ক্ষেপে উঠলো কট্টর হিন্দু দলগুলো এ মাসের গোড়ার দিকেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল, রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে যে মামলা চলছে তাতে তাড়াহুড়ো করে শুনানি করার ব্যাপারে তারা মোটেই আগ্রহী নন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও জাস্টিস এস কে কাউলের বেঞ্চ তখনই জানিয়ে দিয়েছিল, জানুয়ারিতে স্থির করা হবে ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি কবে হবে। তখন থেকেই বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি তুলতে থাকে, রামমন্দির নির্মাণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ভরসায় বসে থাকলে আর চলবে না। গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের আস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রশ্নে আদালত আদৌ শেষ কথা বলতে পারে কি না, সে প্রশ্নও তুলতে থাকেন তারা। কেন্দ্রে ও উত্তরপ্রদেশে যখন বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আছে - তার পরও কেন মন্দির নির্মাণের কাজ এগোচ্ছে না, এই জাতীয় মন্তব্যও করতে থাকেন বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা। এই জাতীয় দাবির পটভূমিতেই অযোধ্যায় এদিনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল, যা মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। একইসাথে, রাম মন্দির নির্মাণে তাদের আপত্তি তুলে নেয়ার জন্য মুসলিমদের ওপর চাপ দেওয়াটাও এই সমাবেশের অন্যতম উদ্দেশ্য। এদিকে এই চলমান রামমন্দির বিতর্ক নিয়ে আজ প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজস্থানের আলোয়াড়ে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এদিন বলেছেন, "কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিচারবিভাগকে পর্যন্ত ভয় দেখাতে চেয়েছে। অযোধ্যা শুনানি যাতে ২০১৯ নির্বাচন পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়, তারা সুপ্রিম কোর্টকে সেই দাবিও জানিয়েছে।" "এমনকী, তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচমেন্টের ভয় দেখাতেও তারা পিছপা হযনি। এই জাতীয় জিনিস কীভাবে মেনে নেওয়া যায়?" মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথা থেকেও স্পষ্ট, তিনি চাইছেন অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যত দ্রুত সম্ভব শুনানি হোক। ক্ষমতাসীন বিজেপির ইশতেহারেও বলা হয়েছে, তারা রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ই মেনে নেবে।
দ্রুত রাম মন্দিরের দাবিতে অযোধ্যায় লাখ হিন্দুর সমাবেশ, মুসলিমদের আতঙ্ক
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা অনেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছেন তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখান থেকে ফিরে এসেছে কয়েকশো নারী শ্রমিক। আর ফিরে আসা নারী শ্রমিকেরা বিবরণ দিচ্ছেন সেখানে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া নানা ধরনের নির্যাতনের। 'একটা সৌদি টাকা চোখে দেখি নাই' গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গত নভেম্বর মাসে সৌদি আরব গিয়েছিলেন বরিশালের আকলিমা বেগম। একহাজার রিয়াল বেতন দেয়ার কথা থাকলেও ফিরেছেন শুন্য হাতে। সেইসাথে সহ্য করতে হয়েছে নানারকম নির্যাতন । "আমি গিয়েছিলাম নভেম্বর মাসে। ঠিকমত খাবার দিত না। মারধোর করতো। বেতন চাইলেই মারধোর করতে শুরু করে। খুন্তি পুড়ে পিঠে গরম ছ্যাঁক দিয়েছে, অনেক নির্যাতন করেছে। তারপর আমি পালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছি। এরপর আমাকে সফর জেলে পাঠায়। একটা সৌদি টাকা দুই চোখে দেখি নাই।" স্বামী ও শিশু সন্তানকে রেখে গিয়েছিলেন পরিবারে শান্তির জন্য। এখন ফিরে আসার পর সেখানেও ঠাঁই হচ্ছে না। "সৌদি আরবে নির্যাতনের পর ফিরে আসা একটা নারীর স্বামী কি করতে পারে, আপনি তো বোঝেন।" তার ওপর কোনও যৌন হামলা বা নির্যাতন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই নারী বলেন, "সৌদিতে যে নির্যাতন হয় তার বিষয়ে আপনারা সাংবাদিকরা আরও ভালো জানেন, প্লিজ একটা ব্যবস্থা নেন।" এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে আরও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সৌদি আরবে দূতাবাসের সেফ হোমে যাকে তারা বলছেন সফর-জেল। এরকম ১২০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয় ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির পক্ষ থেকে। এর মধ্যে এ নিয়ে মোট ৯০ জন নারীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আরও পড়ুন: সৌদিতে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকদের যেসব ঝুঁকি 'সৌদি আরব থেকে সে আসছে মাথায় গণ্ডগোল নিয়া' ব্র্যাকের এই অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে এমনকি দেশের বাইরে থেকে তাদের সাথে অনেকে যোগাযোগ করেন এই সব নারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য। এরপর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার বোর্ডের মাধ্যমে এই মেয়েদের ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। এছাড়া কয়েক দফায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে এসেছেন আরও কয়েকশো নারী শ্রমিক। তাদের অভিযোগ দিনরাত কাজ করানো হতো, সেইসাথে চলতো শারীরিক ও যৌন নির্যাতন। চুক্তির নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলেও অনেকের পাসপোর্ট অনেকদিন ধরে আটকে রেখেছে সৌদি নিয়োগদাতারা। এরকম অনেক নারী সম্প্রতি সৌদি আরব, জর্ডান থেকে ফিরে এসেছেন। তেমনই একজন তানিয়া। রোববার ফিরে আসা ত্রিশ জনের একজন। দুই মাসও পেরোয়নি তার আগেই ফিরে আসতে বাধ্য হন শরীরে ক্ষত আর ভাঙা পা নিয়ে। খুব বেশি কথা বলতে রাজি হলেন না তিনি। এই নারী এবং তার স্বামীর প্রশ্ন- "এসব বলে কি হবে?" নারী শ্রমিকদের রক্ষার বিষয়ে সরকার কতটা তৎপর? ১৯৯১ সাল থেকে এপর্যন্ত প্রায় তিন দশকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিকরা গেছেন তার মধ্যে শুধুমাত্র সৌদি আরবেই গেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার আটশোর বেশি নারী। ফিলিপাইন, শ্রীলংকাসহ কিছু দেশ যখন তাদের নারীদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, সেসময় বাংলাদেশ নারীদের সৌদি আরবের পাঠানোর চুক্তি করে । কিন্তু অভিবাসন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা এক্ষেত্রে সরকারের কঠোর অবস্থান নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিকদের সংগঠন বমসার পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলছেন, গত ছয়/সাত মাসে মাসে চার থেকে সাড়ে চার হাজার নারী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। "শ্রমিক যতটা ফিরে আসছে তার চেয়ে বড় মুশকিল হল তার নির্যাতনের পরিমাণটা অনেক মাত্রায় বেশি। শারীরিক, মানসিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।" 'বারগেইনিং পাওয়ার' শ্রীলংকা, ফিলিপাইনের মত দেশ নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রেখে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থান নিয়ে এখন আবার সেই বাজারে ফিরে গেছে, ফলে তাদের দরকষাকষি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেদিকে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, বলছিলেন সুমাইয়া ইসলাম। তিনি বলেন, "মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপ বিষয় না, বিষয় হচ্ছে যেখানে শ্রমিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে, ন্যায্যটা পাবেনা, সেরকম কোনও দেশে পাঠানোর দরকার নেই। শ্রমিকের অধিকার, মর্যাদা আগে প্রতিষ্ঠা করে তারপর পাঠাতে হবে।" "ফিলিপাইন, শ্রীলংকার শ্রমিকদেরও টর্চার হয়, কিন্তু সংখ্যাটা কম। কারণ, তাদের সরকার খুব স্ট্রং, তাদের রিক্রুটিং এজেন্সি দায়বদ্ধ। এ কারণে তাদের নির্যাতনের পরিমাণটা অনেক কম। তাদের বারগেইনিং পাওয়ার বেশি। সেই জায়গাটাতে আমরা পিছিয়ে আছি।" এমন প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করার কথা বলছেন ফিরে আসা অনেকে। তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই বাজারটি এখন তাদের ধরে রাখতেই হবে। সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা অনেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছেন দক্ষতার অভাব প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার বলেন, "আমরা একটা শক্ত বা কঠোর অবস্থান নিলে, এত বড় শ্রমবাজার- সৌদি আরব... ধরেন আর যেতে দিলাম না আমাদের মেয়েদের তাহলে তো গেল আমাদের শ্রমবাজারটা বন্ধ হয়ে...।" "আমাদের মেয়েদের অদক্ষতার বিষয়টিও আমরা আবিষ্কার করলাম। যারা গেছে তারা অনেকে ভাষা বোঝেনা। কথা বলতে না পারলেও নাকি তারা মারধোর করে।" এইসব মেয়েদের দক্ষতা বাড়ানোর এবং ভাষা প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দিকে দোষারোপ করে বলেন, তারা প্রশিক্ষণ ছাড়া, মেডিকেল চেকআপ ছাড়া লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'সৌদি আরবে নারী শ্রমিকের পরিবেশের পরিবর্তন হচ্ছে' সৌদি আরব থেকে কেন ফিরে আসছেন নারী গৃহকর্মীরা? আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ: কীভাবে দেখছে সবাই
ফেরার পর পরিবারেও ঠাঁই নেই: সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশী নারী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কক্সবাজারের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা সাবিকুল নাহার। মিয়ানমারে সরকারের একজন মুখপাত্র জ তে বলেছেন, 'জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে', সেটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। চীনও এই প্রতিবেদন বাতিল করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হলে সেটি সঙ্কট সমাধানে 'সহায়ক হবে না।' সরকারি মুখপাত্র জ তে এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারের সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কখনোই সহ্য করে না। গত সোমবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তার দু'দিন পর মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এভাবেই তার জবাব দেওয়া হলো। "জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কর্মকর্তাদেরকে আমরা মিয়ানমারে আসতে দেই নি। আর সেকারণে মানবাধিকার পরিষদের তৈরি যে কোন প্রস্তাবের সাথে আমরা একমত হতে পারছি না," রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমারকে একথা বলেছেন জ তে। তিনি বলেছেন, "জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেসব মিথ্যা অভিযোগ এনেছে" সেগুলো তদন্ত করে দেখার জন্যে তাদের নিজেদেরই একটি স্বাধীন কমিশন রয়েছে। এর আগেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শুধু জঙ্গি সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের ওপর অভিযান পরিচালনা করছে। মিয়ানমারের সাথে যে দেশটির ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সেই চীনও বলেছে, "ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং জাতিগতভাবে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই জটিল।" "শুধুমাত্র মিয়ানমারের সমালোচনা করলে কিম্বা এবিষয়ে দেশটির উপর চাপ প্রয়োগ করলে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তা সহায়ক হবে না," বলেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র হুয়া চুনিং। ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছেন। আরো পড়তে পারেন: কেন বর্মী সেনা প্রধানকে নিষিদ্ধ করলো ফেসবুক? বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে আসলে কী দেখা হয়? ভারত জুড়ে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী-লেখকদের ধরপাকড় গত বছরের অগাস্ট মাসে মিয়ানমারে পুলিশের কয়েকটি চৌকিতে জঙ্গি হামলার পর সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালাতে শুরু করে এবং তারপর থেকে বাংলাদেশে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এই অভিযানের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ এবং বাড়িঘর ও জমিজমায় অগ্নিসংযোগ। মিয়ানমার সরকারের বক্তব্য হচ্ছে, রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে অবৈধ অভিবাসী যারা দেশটির নিরাপত্তা এবং বৌদ্ধদের আত্মপরিচয়ের জন্যে বড় ধরনের হুমকি। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে সামরিক বাহিনীর ছ'জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং লাইংও। জেনারেলদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাদের বিচারেরও দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। 'ফেসবুকই ইন্টারনেট' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেরও কড়া সমালোচনা করেছেন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র। কারণ জাতিসংঘের রিপোর্টটি যেদিন প্রকাশ করা হয় সেদিনই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে সামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার ২০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। মুছে দেওয়া হয় ৫২টি ফেসবুক পেজ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে এসব অ্যাকউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে তারা এটাও স্বীকার করেছে যে এই কাজ করতে তাদের খুব দেরি হয়ে গেছে। ফেসবুকে কোন দেশের সামরিক কর্মকর্তা কিম্বা রাজনীতিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ঘটনা এটাই প্রথম। কিন্তু সরকারি মুখপাত্র জ তে বলছেন, ফেসবুকের এসব পরিকল্পনার ব্যাপারে তাদের সরকার অবহিত নয়। বন্ধ করা হয়েছে সেনাপ্রধান মিন অং লাইং এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। "ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। কেন তারা এসব নিষিদ্ধ করেছে এবং সেগুলো আমরা কিভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারি?" জানতে চান তিনি। তবে তিনি জাতিসংঘের এই বক্তব্যের সাথে একমত যে "বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর কাছে ফেসবুকই হচ্ছে ইন্টারনেট।" জ তে আরো জানিয়েছেন, ফেসবুকের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিয়ানমার সরকার ফেসবুকের কাছে জানতে চেয়েছে। তিনি এও বলেন যে এবিষয়ে সরকার ও ফেসবুকের মধ্যে একটি সমঝোতার কাজ চলছে। মিয়ানমারে সবচেয়ে বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এই ফেসবুক। পৌনে দু'কোটিরও মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। নিরাপত্তা পরিষদেও আলোচনা জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনটির প্রকাশিত হওয়ার দু'দিন পর সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি বলেছেন, সঙ্কটের এক বছর পর জাতিসংঘ কী ধরনের উদ্যোগ নেয় সেটা দেখতে সারা বিশ্ব জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মিয়ানমারের দূত বলেছেন, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। আর চীনা দূত সঙ্কট সমাধানে আরো কূটনৈতিক উদ্যোগের উপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন কী বলে প্রত্যাখ্যান করছে মিয়ানমার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ' এর মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করায় "গভীর উদ্বেগ" প্রকাশ করা হয়েছে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে। ইরানে অর্থ সহায়তা দেয়ার পরিসর বাড়ানোর বিষয় শুক্রবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লব শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আরো পড়তে পারেন: খামেনির ছবিও পোড়াচ্ছে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ইরানে বিক্ষোভ আরো ছড়িয়ে পড়ছে, নিহতের সংখ্যা ১০ ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ২০১৫ তে পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইরান চুক্তি করার পর থেকে সেখানে আবারো অর্থ সহায়তা পাঠানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানে কয়েকসপ্তাহ আগে বিক্ষোভ শুরু হলেও দ্রুতই তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির ছবিও পোড়ায়। সরকারি নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সেখানে মারা গেছে অন্তত ২১জন। কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ১০০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার খবর জানা গেছে। যদিও ইরান সরকার বলছে বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারীদের বাদে অন্যদের এরই মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আরো দেখুন ইরানে বিক্ষোভের কারণ: ইরানে বিক্ষোভের কারণ কী
ইরানে বিক্ষোভ: গ্রেপ্তার হওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেবার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিকে 'সাবধান হয়ে যাওয়ার' জন্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় তাহলে ইরানকে "এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে যা আগে কখনো কাউকে করতে হয়নি ।" মি. ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির আগে প্রেসিডেন্ট রোহানি বলেছিলেন, ইরানের সাথে যুদ্ধ হলে সেটা হবে এমন এক যুদ্ধ যা পৃথিবীতে এর আগে কখনো হয়নি।" ইরানের সাথে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চক্তি থেকে গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে দুটো দেশের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি হুমকি দেওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ওই চুক্তিতে ধীরে ধীরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পরিহার করার বদলে দেশটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। এখন চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওয়াশিংটন ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। কিন্তু ২০১৫ সালে আরো যেসব পক্ষ ওই চুক্তিতে সই করেছিল তারা ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এই দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট রোহানিকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, "আপনি আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেবেন না। যদি দেন তাহলে আপনাকে এমন পরিণতি দেখতে হবে যা ইতিহাসে এর আগে খুব কমই হয়েছে।" "যুক্তরাষ্ট্র এখন আর এমন কোন দেশ নয় যা সহিংসতা ও মৃত্যুর ব্যাপারে আপনার উন্মত্ত কথা শুনবে। আপনি সাবধান হয়ে যান," বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে ইরানি প্রেসিডেন্টের করা এক মন্তব্যের পরেই মি. ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রোহানি ইরানি কূটনীতিকদেরকে বলেছেন, "আমেরিকার জানা উচিত যে ইরানের সাথে শান্তিই হলো আসল শান্তি। আর ইরানের সাথে যুদ্ধের মানে হলো এক ব্যাপক যুদ্ধ।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে টুইটারে এধরনের ক্রুদ্ধ বার্তা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের উদ্দেশ্যে, যাকে তিনি উল্লেখ করেছিলেন একজন 'উন্মাদ' হিসেবে। তাকে উদ্দেশ্যে করেও তিনি বলেছিলেন, "এমন পরিণতি হবে যা এর আগে কারো হয়নি।" পরমাণু হামলা চালানোর জন্যে কার দেশের 'সুইচ' কতো বড়ো সেটা নিয়েও তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: হলি আর্টিজান: চার্জশিটে অভিযুক্ত ৮, নেতৃত্বে রোহান ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর হারার পর নেইমারের প্রতিক্রিয়া আসলে কেমন ছিলো? কিন্তু তাদের সেই ঝগড়া বেশি দূর এগোয়নি। পাল্টাপাল্টি সেই হুমকি শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে তৃতীয় একটি দেশে তাদের মধ্যে বৈঠক এবং কূটনৈতিক সমঝোতার প্রক্রিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইরান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। মাইক পম্পেও বলেছেন, "ইরান সরকার যতোটা না সরকার তারচেয়ে বেশি মাফিয়া।" ক্যালিফোর্নিয়ায় ইরানি আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় তিনি প্রেসিডেন্ট রোহানি এবং ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ইরানের উপর চাপ বাড়ানোর জন্যে তিনি তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মি. পম্পেও বলেন, কেউ যাতে ইরানের কাছ থেকে তেল না কেনে সেজন্যে তিনি বিভিন্ন দেশকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানী বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এতো ব্যাপক সংখ্যক ইরানি আমেরিকানদের সমাবেশের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এতো উচ্চ পর্যায়ের কোন নেতা এর আগে এরকম সরাসরি মন্তব্য করেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর এধরনের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে ইরানি নেতৃত্বের উপর চাপ তৈরির জন্যে ট্রাম্প প্রশাসন কতোটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরকে 'নজিরবিহীন যুদ্ধের' হুঁশিয়ারি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির একটি ছবি। ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যে ডিগ্রি নিচ্ছেন সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস, পড়াশোনার পরিবেশ এসবও আপনার জীবনের নানা পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে। সবসময় এগুলোর বিশেষ একটি তাৎপর্য আছে আপনার বাকি জীবনে। কিন্তু কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো বিশেষ কিছু কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে আবার কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভৌগলিকভাবে এমন এক জায়গায় অবস্থিত যা হয়তো একটু কল্পনা করাও কঠিন। এখানে এরকম কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তুলে ধরা হলো: সবচেয়ে প্রাচীন পৃথিবীতে জ্ঞান চর্চা কবে থেকে শুরু হয়েছিল তার কোন দিন তারিখ উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে কোথায় কোথায় মানুষ জ্ঞানের ব্যাপারে কৌতূহলী ছিল সেসব জায়গার কথা হয়তো আমরা উল্লেখ করতে পারি। মরক্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফেজ শহরে ৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কারুয়েন বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানেও এটি চালু আছে। গিনেস রেকর্ড বুকেও এটি এই পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। এর ২০০ বছর পর ১০৮৮ সালে ইটালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর বোলোনিয়াতে চালু হয়েছিল বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ধারণা করা হয় এটি ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এটি চালু হয়েছিল ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে। তবে এটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই দিন তারিখ এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনের ২৮ জন প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাদের মধ্যে সবশেষ হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আর্ল অফ উইলমিংটন, ১৭৪২ সালে। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত। লোকসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। এই হিসেবে ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করবেন সেটা হয়তো কারো কাছেই বিস্ময়কর মনে হবে না। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। আরো পড়তে পারেন: কেন শীর্ষ তালিকায় নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা এক হাজারেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিলেন যারা এর উদ্দেশ্যই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করা যা দূর-শিক্ষণ বলে পরিচিত। ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রীর নামেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে যে তথ্য পাওয়া যায় সে অনুসারে ২০১৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল ৩০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। ভারত ছাড়াও সারা বিশ্ব থেকেই শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করেন। কেউ কেউ অবশ্য বলে থাকেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ লাখের মতো। কিন্তু এই দাবি সরকারি সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তারপরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া কমিউনিটি কলেজ যার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২১ লাখের মতো। সবচেয়ে ধনী যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বা সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচিত। ২০০৯ সালের হিসেবে অনুসারে ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট অর্থের পরিমাণ ছিল ২৬০০ কোটি ডলার। সাধারণত ব্যক্তি পর্যায়ে এই পরিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দান করা হয়েছিল ভবিষ্যৎ প্রকল্প কিম্বা বৃত্তি চালু করার উদ্দেশ্যে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সবচেয়ে বেশি অর্থসমৃদ্ধ। আন্তর্জাতিক সুনামের কারণে সারা বিশ্ব থেকেই প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জন এফ কেনেডি, ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সবচেয়ে অদ্ভুত স্থানে এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইসল্যান্ডের বিফ্রস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এটি এমন একটি উপত্যকায় অবস্থিত যেখানে গ্রাব্রক আগ্নেয়গিরি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দ্রুত হেঁটে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪০ মিনিটের মধ্যে এর চূড়ায় উঠে আবার নেমে আসতে পারেন। এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখও সেখানে অবস্থিত যা দেখতে সেখানে দর্শনার্থীরাও যেতে পারেন। ব্যবসা, আইন ও সমাজ বিজ্ঞান পড়ার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচিত। এটি রাজধানী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে উঁচুতে চিলির আতাকামা বিশ্ববিদ্যালয় ওজোস ডেল সালাদো আগ্নেয়গিরির ওপর একটি গবেষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এটি ৫,১০০ মিটার উঁচুতে। আর্জেন্টিনা সীমান্তের কাছে। আগ্নেয়গিরির এই জ্বালামুখের কাছে আইস্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়। যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এই পৃথিবীতে এটিই হবে সবচেয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়। আগ্নেয়গিরিটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ফলে ভূতত্ব, জ্যোতির্বিদ্যা এসব বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে এটি হবে আদর্শ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সবশেষ অগ্নুৎপাত হয়েছিল ৭০০ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৯৩ সালেও এখান থেকে গ্যাস ও ছাই নির্গত হয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি নেপালে। নাম পিরামিড ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি। কিন্তু চিলির গবেষণাগারটি হবে এর চেয়েও ৫০ মিটার উঁচুতে। আরো পড়তে পারেন: ক্লাব থেকে যেকারণে খেলা বিদায় নিল, অপরাধ ঢুকলো তেল ক্ষেত্রে হামলার প্রতিশোধ নেবে সৌদি আরব বোবায় ধরা কী, কেন হয়, পরিত্রাণ পাবেন কীভাবে
বিশ্বের যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন কিছু কারণে বিখ্যাত
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের রায়ের খবর মিয়ানমারের শীর্ষ কয়েকটি গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। তবে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অফিসের যে ভেরিফাইড ফেসবুক পাতা আছে, সেখানে এ সংক্রান্ত কোন খবর বা পোস্ট দেখা যায়নি। গতকাল নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে ওই রায় ঘোষণার পরপরই এই খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করে মিয়ানমার টাইমস। মিয়ানমারের শীর্ষ নেতা অং সান সু চি আইসিজের রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে যেসব কথা বলেছেন, মিয়ানমার টাইমসের ওই প্রতিবেদনে সেগুলোই গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও উঠে এসেছে তাদের ওই প্রতিবেদনে। মিজ সু চি রায় ঘোষণা আগে ফাইনানশিয়াল টাইমসকে বলেছেন যে, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের "অপ্রমাণিত ব্যাখ্যার" শিকার। তার মতে, বাংলাদেশের কিছু শরণার্থী "ভুল বা অতিরঞ্জিত তথ্য দিতে পারে।" আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে নিন্দার ঝড় উঠেছে, সেটা রাখাইনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারের প্রচেষ্টার উপর "নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে" বলে মিসেস সু চি উল্লেখ করেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যথাযথ তদন্ত ছাড়াই অপ্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমারের নিন্দা করছে বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের টাইমসের ওই খবরে মিয়ানমারের কয়েকজন সামরিক নেতার বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। মেজর জেনারেল থায়োং নাইং ওই রায়ের প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমাদেরকে যেভাবে দোষারোপ করা হয়েছে, আমরা তেমন নই। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমাদের সেটাই করতে হবে যা আমাদের করা প্রয়োজন।" মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের এই সিদ্ধান্ত নির্বিশেষে সেনাবাহিনী তার সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করবে। এদিকে দ্য ইরাওয়াদি পত্রিকার প্রথম শিরোনামে স্থান পেয়েছে আইসিজের এই রায়ের প্রসঙ্গটি। আরো পড়তে পারেন: সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক 'পানি থেকে লাফিয়ে উঠে মাছটি যেন ঘাড়ে ছুরি চালালো' যুক্তরাষ্ট্র গর্ভবতী ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই করবে দ্য ইরাওয়াদি পত্রিকার প্রথম শিরোনামে স্থান পেয়েছে আইসিজের এই রায়ের প্রসঙ্গটি। তবে এই গণমাধ্যমের দ্বিতীয় খবরটি ছিল, রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান সরকার। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর জাপানই প্রথম মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা জানায়। গত ডিসেম্বরে মিজ সু চি'র সঙ্গে সাক্ষাতকালে নেপিদোতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, তার দেশের সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের রাখাইনে কোনও গণহত্যা হয়নি। সেসময় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার চলছিল। ওই খবরটিতে পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। ‌আইসিজের এই রায়ের খবরটি মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে আইসিজের এই রায়ের বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে দেয়া সংবাদ বিবৃতিটি তারা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়টি মিয়ানমার সরকার আমলে নিয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে দেয়া সংবাদ বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম। মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত কমিশন-আইসিওই তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে রাখাইনে কোন গণহত্যা হয়নি। তবে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে বলে কমিশন জানতে পেরেছে। এখন সেই ঘটনাগুলো মিয়ানমার সরকারিভাবে তদন্ত ও বিচার করছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। মিয়ানমারে বিচার শেষে আদালতের রায় ঘোষণায় সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মিজ সু চি। সেখানে কি সিদ্ধান্ত আসে সেটা মিয়ানমারের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে গণমাধ্যমটি। মিয়ানমার অভ্যন্তরীনভাবে যে তদন্ত পরিচালনা করছে তাতে রাখাইনে নৃশংসতার চিত্র পুরোপুরি তুলে ধরা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে সুশীল সমাজের কয়েকটি গ্রুপ। মিয়ানমার টাইমসে এই খবরটি প্রকাশ পায়। খবরটিতে আরও জানা যায় সুশীল সমাজের এমন শতাধিক গ্রুপ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইয়াঙ্গুনের মার্কিন দূতাবাস, আইসিজের এই রায়ের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে এবং তারা আশা করছে যে এই সিদ্ধান্ত রাখাইনে ন্যায়বিচারের পথ সুগম করবে। মিয়ানমার তাদের ওই স্বাধীন তদন্তে গণহত্যার কোন প্রমাণ পায়নি বলে, যে ঘোষণা দিয়েছে তার নিন্দা জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে মিয়ানমার এভাবে আইসিজের রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মানবাধিকার সংস্থা তাদের অসমর্থিত তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমারের নিন্দা করেছে এবং রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিকৃত চিত্র উপস্থাপন করেছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অফিসের যে ভ্যারিফাইড ফেসবুক পাতা আছে, সেখানে আইসিজের রায় সংক্রান্ত কোন খবর বা পোস্ট দেখা যায়নি। আরও পড়তে পারেন: গণহত্যা রোধে ব্যবস্থা নিন, মিয়ানমারকে আইসিজে অং সান সু চিকে আদালতে নিয়ে গেছেন যে ব্যক্তি রোহিঙ্গা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার অভিযোগ কেন? এতে মিয়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে এবং রাখাইনে টেকসই উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া দ্য স্ট্যান্ডার্ড টাইমস ডেইলি, ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে এই খবরটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। গতকাল আইসিজে মিয়ানমারের প্রতি চারটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয় যেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সব ধরনের হত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টা বন্ধ করা হয়। দেশটির সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী বা যে কেউ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেন গণহত্যা না চালায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। নির্দেশগুলো যথাযথভাবে যে পালিত হচ্ছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিজেকে প্রতিবেদন দেবে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ: মিয়ানমারের গণমাধ্যমে আইসিজে'র রায়ের খবর যেভাবে উঠে এসেছে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সুইটজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে সারাবিশ্ব থেকে অর্থ জমা রাখার পরিমাণ বেড়েছে মাত্র গতকালই সুইটজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানেই প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক এসএনবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৫০৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, টাকার অঙ্কে প্রায় চার হাজার তিনশত কোটি টাকা। আগের বছর এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৭২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ না থাকায় দেশের বাইরে, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকগুলোতে গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে রাখা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, “বিনিয়োগের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা আর টাকাটা কি পথে আয় করা হলো, তার ওপর নির্ভর করে কেন বাংলাদেশীদের জামানত সুইস ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে। যেভাবেই টাকা আয় করা হোক, অনেক সময় বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও হয়ত এখানকার ব্যাংকে অর্থ রাখতে একজন নিরাপদ বোধ করছে না, সেক্ষেত্রে অর্থ দেশেরে বাইরে যাবার প্রবণতা তৈরি হয়।” সুইটজারল্যান্ডের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা, স্থিতিশীলতা এবং গ্রাহকের গোপনীয়তা বজায় রাখার সুনামের কারণেই সারা বিশ্ব থেকে লোকজন সুইস ব্যাঙ্কে অর্থ রাখতে চায় তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণেও সুইস ব্যাংকগুলোতে যাওয়া অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। কেবল বাংলাদেশীদের রাখা অর্থের পরিমাণই নয়, সুইটজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে সারাবিশ্ব থেকে অর্থ জমা রাখার পরিমাণ বেড়েছে। আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বিদেশি গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি সু্ইস ফ্রাঁ। আর এই হিসাবে বাদ পড়েছে স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতব বস্তু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই অর্থ, মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রী গচ্ছিত রাখার ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকগুলো জনপ্রিয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এমকে মুজেরী বলেছেন, সুইটজারল্যান্ডের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা, স্থিতিশীলতা এবং গ্রাহকের গোপনীয়তা বজায় রাখার সুনামের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এর আগে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কোন উত্তর পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুইস ব্যাঙ্কে বাড়ছে বাংলাদেশীদের অর্থ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্যাটম্যানের ওপর অন্যায়ের প্রতিশোধ জোকার সিনেমার বিষয়বস্তু মুক্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত বক্স অফিস রিপোর্ট বেশ ভালো, প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। কিন্তু এই সিনেমা ইতিমধ্যে মার্কিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ বাড়িয়েছে। যেদিন সিনেমা মুক্তি পায়, সেই দিনই সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা বৃদ্ধির 'বাস্তব ঝুঁকি' রয়েছে বলে নিজেদের সদস্যদের সতর্ক করেছে। সাত বছর আগে ব্যাটম্যানের ওপর ভিত্তি করে বানানো সিনেমা 'দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস' এর এক প্রদর্শনীর সময় কলোরাডোর অরোরায় এক গোলাগুলির ঘটনায় ১২জন নিহত এবং ৭০জন মানুষ আহত হয়েছিল। রং করা মুখ নয় সেই ঘটনায় নিহত-আহতদের পরিবারের অনুরোধে অরোরায় 'জোকার' মুক্তি দেয়া হয়নি। আরো পড়তে পারেন: সিরিয়া তুরস্ক সীমান্তে চলছে তীব্র লড়াই স্থূলতা: মোটা হওয়া নিয়ে যে সাতটি ভুল ধারণা রয়েছে পথেঘাটে 'মেয়ে-পটানো'র কায়দা কানুন: রোমান্টিক না অপরাধ? ২০১২ সালে অরোরায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১২জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন সিনেমার প্রযোজক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে পরিবারগুলো চিঠি লিখে আবেদন জানায় যেন তারা সিনেমা থেকে উপার্জিত অর্থের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত মানুষের জন্য ব্যয় করে। চিঠিতে পরিবারগুলো ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কাছে আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত আইনের সংস্কার যারা চায় না, এমন কোন পার্টিকে যেন তারা ভবিষ্যতে কোনদিন রাজনৈতিক অনুদান না দেয়। সমাজের সকলকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানেরও, সেইটি মনে করিয়ে দেবার লেখা হয়েছে চিঠিতে। সমালোচকেরা বলছেন সিনেমায় সন্ত্রাসকে গ্রহণযোগ্য ব্যপার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই পরিবারগুলোর অনেকের অভিযোগ, সিনেমাটি জোকারের আজব কর্মকাণ্ডকে লঘুভাবে উপস্থাপন করেছে, ফলে অনেকেই সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহিত হতে পারেন। অ্যামেরিকার কয়েকটি শহরের সিনেমা হল ঘোষণা করেছে, মুখোশ পড়ে বা পেইন্ট দিয়ে মুখ রাঙ্গিয়ে কেউ হলে ঢুকতে পারবেন না। সুপারহিরো সিনেমা মুক্তির সময় মুখোশ পড়ে বা পেইন্ট দিয়ে মুখ রাঙ্গিয়ে সিনেমা দেখতে আসার রেওয়াজ রয়েছে সারা দুনিয়াতেই। উদ্বেগের কারণ কী জোকার সিনেমা মূলত আর্থার ফ্লেক নামী একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির গল্প, যার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যর্থতা তাকে এক সময় সহিংস করে তোলে। সিনেমায় অনেক অ্যাকশন ও সহিংস মারপিটের দৃশ্য রয়েছে। ফ্লেকের ন্যারেটিভকে গুরুত্ব দিয়ে হাজির করার জন্য পরিচালক টড ফিলিপসকে দুষছেন সমালোচকেরা। ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনের রিচার্ড লসন সিনেমাটিকে একজন অসুস্থ মানুষের 'একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচারণা' বলে অভিহিত করেছেন। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরষ্কার গ্রহণ করছেন জোকার সিনেমার অভিনেতা ও পরিচালক তবে সিনেমার সমালোচনা দেখে বিস্মিত হয়েছেন পরিচালক ফিলিপস। "সিনেমাতে ছোটবেলার কোন দুঃসহ স্মৃতি, ভালোবাসা এবং মমতার অভাবের কথা বলা হয়েছে। আমার মনে হয় মানুষ ক্রমে এর বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে। আর সাধারণভাবে বললে শিল্প মাত্রই কিছুটা জটিল হবে, আপনি খুব সরল কিছু খুঁজলে ক্যালিগ্রাফি দেখুন গিয়ে!" জোকারের সমালোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উগ্র বামদের দুষেছেন সিনেমার পরিচালক। "যারা ভুল বোঝার তারা সব সময়ই ভুল বুঝবে, পরিচালকের দায়িত্ব নয় সবাইকে ভালো মন্দের জ্ঞান দেয়া।" অভিনেতা কী বলছেন ছবি মুক্তি এক সপ্তাহের মধ্যে সিনেমার এহেন সমালোচনায় কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন মূল চরিত্রে রূপদানকারী ফিনিক্স। মুখোশ পড়ে বা মুখে রঙ লাগিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক শহরে "আমার মনে হয় কোন সিনেমা যদি আপনাকে ভিন্নভাবে ভাবতে শেখায়, সেটা মন্দ নয়। সে কারণেই সিনেমাটা করতে রাজী হয়েছিলাম আমি।" "আমার জন্য সহজ ছিল না ব্যপারটা, প্রস্তুতির সময় আমাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে।" নেতিবাচক যত চরিত্র ছবির অভিনেতা কারণে বিতর্ক আর সমালোচনা বেড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ ফিনিক্স খল চরিত্রের জন্য সুপরিচিত। আর নেতিবাচক চরিত্র অনেকের কাছেই ভালো লাগার বিষয়। জোকার মনস্তত্ত্ব নামে বই এর লেখক মনোবিদ ট্রাভিস ল্যাংলি মনে করেন, "আমরা ধারণা করতে পারি যে আমাদের মনের একটি অংশ ভালোবাসে ভাবতে যদি বিধিনিষেধ না থাকতো তাহলে আমরা কি করতাম" ২০০৯ সালে জোকার ছবির আগের সংস্করণে অস্কার জয়ী অভিনেতা হিথ লেজার লাইসেন্সড 'কসপ্লে' ওয়ার্নার ব্রাদ্রার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কোন খল চরিত্রকে মহিমান্বিত করেনি। "কাল্পনিক চরিত্র জোকার বা সিনেমা কোথাওই বাস্তবজীবনে সহিংসতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে এমন ভাবনা কেউ ভেবে থাকলে ভুল করেছেন। সিনেমার বা নির্মাতার বা প্রযোজক প্রতিষ্ঠানের কারো উদ্দেশ্যই মোটেও তা নয়।" ওয়ার্নার অবশ্য জোকার থিমের বেশ কিছু পন্য বাজারে ছেড়েছে, এর মধ্যে রয়েছে একটি মেরুন ব্লেজার। ফিনিক্স পড়েছিলেন এমন ব্লেজারের রেপ্লিকা ৭৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। মেরুন ব্লেজারের রেপ্লিকা মানসিক স্বাস্থের ব্যপারে নজর দেয়া হয়নি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বলছেন এমনিতেই সমাজে মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এখন এই সিনেমার কারণে অনেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করতে পারেন। সাংস্কৃতিকভাবে প্রায় সব দেশেই মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের ভালো চোখে দেখা হয় না। সিনেমার প্রাপ্তির ঝুলি এখনো পর্যন্ত সিনেমা দেখে দর্শকেরা বাহবাই দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে নেতিবাচক প্রচারণার কারণেও অনেক দর্শক সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে কেবল যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ডলার, যা অক্টোবর মাসে মুক্তি পাওয়া কোন ছবির জন্য একটি রেকর্ড। এছাড়া এ মাসের শুরুতে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরষ্কার জিতেছে জোকার।
জোকার সিনেমা কি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস জেনেভায় শুক্রবার তিনি বলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ''অবশ্যই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। '' ''কিন্তু একই সময়ে এটা দমন করার মতো প্রযুক্তি ও জ্ঞান আমাদের আছে,'' তিনি বলেন। এ ব্যাপারে জাতীয় সংহতি এবং বৈশ্বিক একতার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আটলাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ২৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় পাসোর্নাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি একে ' অপরাধ' বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। ''যেকোনো ধরণের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য,'' তিনি বলেছেন। ''তবে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি...আমার মতে এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড। কারণ স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি পিপিই ছাড়া কাজ করে, আমরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছি। সেই সঙ্গে যাদের তারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে।'' দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার তৈরি হলেও, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩,৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
করোনা ভাইরাস: দুই বছরের মধ্যে মহামারি শেষ হবে বলে আশা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
নভোচারীদের নিয়ে 'ওরায়ন' এভাবেই যুক্ত হবে গেটওয়ে নামে চাঁদের কক্ষপথে থাকা স্টেশনের সাথে এটা একটা বড় কারণ - যে জন্য মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর কোন প্রকল্পই সেভাবে এগুতে পারছে না। তাই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা কাজ করছেন এমন একটা প্রযুক্তি বের করতে - যাতে অনেক কম সময়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানো যাবে। এর লক্ষ্য হলো পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাবার সময়টা তিন মাস বা তার নিচে নামিয়ে আনা। কিন্তু এত দ্রুতগামী রকেট বা মহাকাশযান কীভাবে তৈরি করা সম্ভব? নাসার কিছু বিজ্ঞানী বলেন, সৌরশক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো আগে অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো যেতে পারে। তবে এতে জ্বালানি কম লাগলেও সময় লাগবে অনেক বেশি - প্রায় দু-আড়াই বছর। অন্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত মঙ্গলে পৌঁছানোর একটি উপায় হচ্ছে নিউক্লিয়ার থার্মাল ইলেকট্রিক প্রোপালশন - সোজা বাংলায় যাকে বলা যেতে পারে পরমাণু শক্তিচালিত রকেট ইঞ্জিন। আরেকটি উপায় হচ্ছে ইলেকট্রিক আয়ন প্রোপালশন - যাতে ব্যবহৃত হবে বিদ্যুৎশক্তি। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই চলছে নতুন ধরণের নভোযান নির্মাণের চেষ্টা। মহাকাশযানের ভেতর নভোচারীরা নিউক্লিয়ার থার্মাল ইলেকট্রিক প্রোপালশন কিছু ইঞ্জিনিয়ার বলছেন, তাদের আইডিয়াটা হলো: প্রথমে রাসায়নিক জ্বালানিচালিত রকেট দিয়ে পৃথিবীতে থেকে রকেট উৎক্ষেপণ হবে। নভোচারীদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে ওরায়ন ক্যাপসুলে - যা বর্তমানে নির্মাণাধীন একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নভোযান। এটি আগে থেকেই চাঁদের কক্ষপথে থাকা গেটওয়ে নামের একটি স্পেস স্টেশনের সাথে যুক্ত হবে। সেখান থেকে অন্য আরেকটি ট্রান্সফার ভেহিকলের সাথে যুক্ত হবে ওরায়ন, এবং নভোচারীরা রওনা দেবেন মঙ্গলের উদ্দেশ্যে। এই নভোযানটি হবে একটি পারমাণবিক বৈদ্যুতিক রকেট। নভোচারীরা থাকবেন একটি ক্রু ক্যাপসুলে, সাথে থাকবে একটি ট্রান্সপোর্ট মডিউল। দুটিকেই মঙ্গলের কাছাকাছি পর্যন্ত নিয়ে যাবে এই পারমাণবিক বৈদ্যুতিক রকেট। মঙ্গলের কক্ষপথে আগে থেকেই থাকবে আরেকটি প্রদক্ষিণরত নভোযান, যাতে থাকবে একটি ল্যান্ডার অর্থাৎ মঙ্গলের মাটিতে অবতরণকারী যান। তার সাথে ডকিং অর্থাৎ সংযুক্ত হবে পারমাণবিক বৈদ্যুতিক রকেট। তার পরই আসবে মঙ্গলের মাটিতে নভোচারীদের নামার পালা। এখন এই যে এই পারমাণবিক বৈদ্যুতিক রকেট - তা চলবে কিভাবে? এ্যারোজেট রকেটডাইন এমনই একটি থ্রাস্টার রকেট তৈরির পরিকল্পনা করছে এরোজেট রকেটডাইন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক জো ক্যাসিডি বলছেন, আমরা মনে করছি নিউক্লিয়ার থার্মাল প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা দিয়ে দ্রুত মহাকাশ ভ্রমণ সম্ভব হতে পারে। এ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেল টমাস এরকম একটি মহাকাশ রকেট ডিজাইনের কাজ করছেন। তিনি বলছেন, "ল্যাবরেটরি পরীক্ষা থেকে মনে হচ্ছে আমরা হয়তো মঙ্গলে যাত্রার সময়টা তিন মাসে কমিয়ে আনতে পারে। এটাও অনেক দীর্ঘ সময়, তবে রাসায়নিক জ্বালানিচালিত রকেটে যে সময় লাগবে, এটা তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।" অবশ্য এর অসুবিধা হলো বোয়িং কোম্পানি এ নিয়ে আগ্রহী নয়, কারণ তারা উদ্বিগ্ন যে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরওয়ালা মহাকাশযান নভোচারীদের ক্ষতি করতে পারে। তবে মি. টমাস এ ভয় অমূলক বলেই মনে করেন। তার মতে আসল সমস্যা হলো এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে পরীক্ষা করা কঠিন। তবে নাসা এ সমস্যার সমাধানের একটি উপায় নিয়ে এখন কাজ করছে। ইলেকট্রিক আয়ন প্রোপালশন এর মূল কথা হলো: বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চার্জযুক্ত পরমাণু বা অণুতে দ্রুত গতির সঞ্চার করা - এবং তা থেকে বিপরীতমুখী থ্রাস্ট বা ধাক্কা তৈরি করা, যাতে রকেট সামনের দিকে এগুতে পারে। এ প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই মহাকাশে উপগ্রহ পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে - তবে এর গতি খুব দ্রুত নয়। মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে এরকম একটি বেস ক্যাম্প তৈরির ধারণা দিয়েছে লকহীড মার্টিন অ্যাড এ্যাস্ট্রা নামের একটি কোম্পানি এখন কাজ করছে ভাসিমার নামে একটি উচ্চগতিসম্পন্ন থ্রাস্টার তৈরি করার জন্য। তারা চাইছে, এর জন্য যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা আসবে একটি পারমাণবিক রিএ্যাক্টর থেকে। এ্যাড এ্যাস্ট্রার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ফ্র্যাংকলিন চ্যাং-ডিয়াজ বলছেন, "এখানে দ্রুতগতির রকেট তৈরিটাই হচ্ছে সমাধান। একটি মহাকাশযান যার ওজন হবে ৪০০ থেকে ৬০০ মেট্রিকটন - তা যদি ২০০ মেগাওয়াট স্তরের বিদ্যুৎশক্তি পায় তাহলে ৩৯ দিনে আপনি মঙ্গলগ্রহে পৌঁছাতে পারবেন।" তবে ডেল টমাস বলছেন, এটা এখনো ল্যাবরেটরি পর্যায়ে আছে, এবং এর বাস্তবায়ন এখনো অনেক দূরের কথা। তা ছাড়া নতুন এ সব প্রযুক্তি শুনতে আকর্ষণীয় লাগলেও লকহিড-মার্টিন বা বোয়িংয়ের মতো কোম্পানি এখনো তরল জ্বালানিনির্ভর রকেটকেই মহাকাশযাত্রার প্রধান ভিত্তি হিসেবে দেখতে চায়। তারা মনে করে এটি একটি পরীক্ষিত প্রযুক্তি - যা কার্যকর। তাহলে কবে নাগাদ মানুষ মঙ্গলগ্রহে যাবে? নাসার সময়সূচি অনুযায়ী ২০৩৩ সাল নাগাদ মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর মিশন শুরু হতে পারে। তবে এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আসলে এ মিশন শুরু হতে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। আরো খবর: ঢাকা দক্ষিণে খোকন বাদ, তাপস আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২০১৯: বাংলাদেশে আলোড়ন তুলেছিল যে ঘটনাগুলো কাবা অবরোধ: সৌদির ইতিহাস পাল্টে দেয়া ঘটনা ভেসে আসা 'ভুতুড়ে নৌকায়' মানুষের দেহাবশেষ আমেরিকায় গণহারে হত্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে এ বছর
মঙ্গল গ্রহে যে নভোযান হয়তো দু-তিন মাসেই নিয়ে যাবে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে রেডক্রস মোটর কর্পসের একটি টিম। তাদের পেছনে অ্যাম্বুলেন্স। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষের। এই সংখ্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যার চাইতেও বেশি। সেসময় সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরই মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাসে। কখন ছড়ালো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তখন প্রায় শেষ হয়ে আসার পথে। যুদ্ধ শেষে সৈন্যরা ফিরে যাচ্ছে যার যার দেশে। কিন্তু তারা কল্পনাও করতে পারেনি যে বাড়িতে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল নতুন এক শত্রু। বিবিসির একজন ব্রডকাস্টার অ্যালেস্টার কুক, যিনি 'লেটার ফ্রম আমেরিকা' অনুষ্ঠানের জন্যে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তিনিও শৈশবে এই স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি সেই অভিজ্ঞতার কথা ২০০৪ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন এভাবে: "আমি বিছানায় গেলাম এবং হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করতে লাগলাম। জীবনে নিজেকে কখনো এতোটা অসুস্থ মনে হয়নি। শরীরে প্রচণ্ড রকমের ব্যথা হচ্ছিল। ক্লান্তি আর অবসাদে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। গায়ে ছিল প্রচণ্ড জ্বর।" এইডা ডারউইন নামের একজন নারী বর্ণনা করছিলে যে তার পিতাও কীভাবে এই ফ্লুতে আক্রান্ত হন। রণাঙ্গনে একটি সামরিক হাসপাতালে সৈন্যদের নার্সিং সেবা দিচ্ছিলেন তার পিতা এবং সেখানেই তিনি আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, "সেদিন সোমবার সকাল সকাল। আমার বাবা অসুস্থ। তিনি তো পুরো যুদ্ধের সময় বেঁচে ছিলেন। কতো বিপদ ছিল তার। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আসার সাথে সাথেই তিনি ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে গেলেন।" স্প্যানিশ ফ্লুর জন্যে দায়ী এইচওয়ান এনওয়ান ভাইরাস। নাম কেন স্প্যানিশ ফ্লু কিন্তু কথা হচ্ছে এর নাম স্প্যানিশ ফ্লু কেন হলো? এর সঙ্গে কি স্পেনের কোন সম্পর্ক আছে? লন্ডন কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েলকাম ট্রাস্টের একজন গবেষক মার্ক হনিগসবাউম ১৯১৮ সালের এই মহামারি নিয়ে একটি বই লিখেছেন। নাম 'লিভিং উইথ এঞ্জা।' তিনি বলেন, স্প্যানিশ ফ্লু নামকরণের পেছনে কারণ হলো স্পেনের সংবাদ মাধ্যম এই ফ্লুর খবরটি মুক্তভাবে পরিবেশন করছিল। "যখন এই মহামারি শুরু হয় তখন স্পেনের রাজ পরিবার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অসুস্থতা হওয়ার খবর স্পেনে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও এই ভাইরাসের কারণে লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তার মধ্যে ছিল ব্রিটেনও। কিন্তু ব্রিটেন যেহেতু জার্মানির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল তাই অনেক খবর তখন প্রকাশ করা হচ্ছিল না। ফলে সেখানে অসুস্থতার খবর খুব একটা প্রচারিত হয়নি।" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে আরো দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে নয়জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস: কীভাবে বদলে দেবে গুপ্তচরবৃত্তি, গোয়েন্দা নজরদারি বাংলাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে আরো একসপ্তাহ সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এলেন তিন করোনাভাইরাস রোগী স্পেনিশ ফ্লুর সময় প্যারিসে মাস্ক পরার জন্যে প্রচারণা। কীভাবে ছড়ালো স্প্যানিশ ফ্লুর প্রথম ধাক্কাটি আসে মে-জুন মাসে। কিন্তু এটি স্পেন থেকে আসেনি, এসেছিল আমেরিকা থেকে। মার্ক হনিগসবাউম বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার খবর প্রথম এসেছিল আমেরিকায় সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প থেকে। ওই ক্যাম্পটি ছিল কেন্টাকিতে। "আক্রান্ত সৈন্যরা ছিল তরুণ। তারা সাধারণত ফার্মে কাজ করতো। প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্যে তারা কেন্টাকির একটি ক্যাম্প ফুনস্টনে যেত। একটি জাহাজে করে তারা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ফ্রান্সের বোর্দোতে চলে আসে যুদ্ধ করতে। জাহাজ থেকে নামার পরপরই ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে আরো যেসব মার্কিন সৈন্য ছিল তাদের মধ্যেও এই অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ে।" যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুটেসসে সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন রয় গ্রিস্ট। সেসময়কার পরিস্থিতির কথা তিনি তার এক বন্ধুকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন: "প্রায় চার সপ্তাহ আগে এই মহামারি শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ক্যাম্পে সবার মনোবল ভেঙে গেছে। সাধারণ সব কাজ কর্মও বন্ধ হয়ে গেছে।" "ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হওয়ার পর যখন কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে যে তার ভয়াবহ ধরনের নিউমোনিয়া হয়েছে। এরকম আগে কখনো হয়নি। ভর্তি হওয়ার দু'ঘণ্টা পর চোখের নিচে বাদামী দাগ পড়ে যায়। আরো কয়েক ঘণ্টা পরে সেটা কান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তারপর সারা মুখে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তখন কে শ্বেতাঙ্গ আর কে শ্বেতাঙ্গ নয় সেটা বোঝা যায় না। মৃত্যু আসার আগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে ভয়াবহ রকমের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" মার্ক হনিগসবাউম বলছিলে কীভাবে এই ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো: "সেসময় যুদ্ধের কারণে মানুষ প্রচুর চলাচল করতো। সৈন্য ও শ্রমিকরা যখন তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে গেল, তখন এই ফ্লু উত্তর ফ্রান্সের রণাঙ্গন থেকে তাদের নিজেদের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়লো।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লুর অন্যান্য প্রজাতি থেকে এই বিশেষ ফ্লুটি ছিল ভয়ঙ্কর রকমের। মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জায় সাধারণত বয়স্ক লোকজন ও শিশুরা আক্রান্ত হয়। কিন্তু এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল তরুণ বয়সীরাও। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? বনরুই থেকেই কি ছড়ালো করোনাভাইরাস মহামারি? করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় স্প্যানিশ ফ্লুর খবর। কবর খোঁড়ারও লোক নেই স্প্যানিশ ফ্লুর দ্বিতীয় এবং আরো বেশি প্রাণঘাতী ধাক্কাটি আসে ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে। সেসময় কেপউটাইন হাসপাতালের প্রধান নার্স লন্ডন টাইমসের কাছে লেখা এক চিঠিতে তখনকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলেন এভাবে: "দু'সপ্তাহে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হলো। কেপটাউনকে মনে হচ্ছিল মৃতের নগরী। রাস্তা থেকে মৃতদেহ তুলে নেওয়ার জন্যে কাভার্ড ভ্যান সারা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। দোকানপাট বন্ধ। ট্রেন ও ট্রাম চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। থিয়েটার ও গির্জাগুলোও সব খালি। পরিস্থিতি ছিল লন্ডনের দ্যা গ্রেট প্লেগের মতো।" "মৃতদেহ দাফন করার জন্য কোন যাজক কিম্বা গির্জার কোন ব্যক্তিকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেপটাউন থেকে ছয় মাইল দূরে যে বিশাল গোরস্থান সেখানে কবর খোঁড়ার জন্যেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। লোকজন তাদের বন্ধু বান্ধব কিম্বা আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে আসছিল। কিন্তু তারাও এতো দুর্বল যে দুই কী তিন ফুটের বেশি খুঁড়তে পারছিল না।" মার্ক হনিগবাউম বলছেন, এতো মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরেও স্প্যানিশ ফ্লু ইতিহাসে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, "প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছিল প্রত্যেকটি দেশের জাতীয় পরিচয় তুলে ধরার যুদ্ধ। সৈনিকদের ভূমিকা ছিল বীরের মতো। এই যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের তো কোন তালিকা নেই। কারণ এসব লোকের মৃত্যুকে নায়কোচিত মৃত্যু হিসেবে দেখা হয়নি। পরিবারগুলো খুবই ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে।" এই স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা খুব দ্রুত এবং হঠাৎ করেই যেমন এসেছিল, ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে, তার পর পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে ১৯২০ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করেই এটি উধাও হয়ে গিয়েছিল।
স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা: মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই মহামারি কীভাবে ছড়িয়েছিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নারায়নগঞ্জে বিস্ফোরণে দেয়াল উড়ে যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে অন্তত ১০ জনকে। এই দুইটি আগুনের সূত্রপাত দু'টি কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ফায়ার সার্ভিস বলছে । নারায়ণগঞ্জের আগুনের কারণ গ্যাসের চুলার লিকেজে জমে থাকা গ্যাস । আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে পুরোনো ঢাকার আরমানিটোলায়। হাজী মুসা ম্যানসন নামে ঐ ভবনের নিচতলা থেকে রাত সাড়ে তিনটা দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভবনটির নিচতলায় একটি রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে রাসায়নিকের এই গুদাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনের পাঁচটি ধরন আগুন বিভিন্ন কারণে লাগতে পারে। ফায়ার সার্ভিস থেকে বলছে আগুনের পাঁচটি ধরন রয়েছে। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা গাজীপুর সেনানিবাসের উপ-সহকারী পরিচালক এবং সহকারী ফায়ার অফিসার দেওয়ান সোহেল রানা বলছিলেন আগুনের ধরন বুঝে আগুন নেভানো উচিত। আগুনের বিভিন্ন ধরনকে ৫ভাগে ভাগ করেছে দমকল বাহিনী। যেমন; এ-পুড়ে ছাই বা কয়লা হয়ে যায় এমন আগুন বি-তেলের আগুন সি-গ্যাসের আগুন ডি-ধাতব পদার্থের আগুন ই-ইলেকট্রিক আগুন কীভাবে আগুন নেভাবেন দেওয়ান সোহেল রানা বলছিলেন, আগুন ধরলে প্রাথমিক ভাবে বুঝতে হবে আগুনের ধরন কেমন, নেভানোর জন্য সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, যেকোন আগুন ধরতে দাহ্য-বস্তু বা জ্বালানি, অক্সিজেন এবং তাপ লাগে। ২০১৯ সালে চকবাজারে এই ভবটিতে আগুন ধরে যায় আরো পড়ুন: গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জন কেন সরানো যায়নি পুরোনো ঢাকার কেমিক্যালের গুদাম? পুরনো ঢাকাতেই থাকবে প্লাস্টিক কারখানা - ঝূঁকি কতটা? আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই তিনটি উপকরণের যেকোন একটি সরিয়ে ফেললে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এক এক ধরনের আগুন নেভানোর জন্য এক এক ধরনের কৌশল নিতে হয় বলে তিনি জানান। পুড়ে ছাই বা কয়লা হয় এমন আগুন: এই আগুনের সূত্রপাত সাধারণত হয় চুলা থেকে। বাংলাদেশে কাঠ,কয়লা দিয়ে যেসব চুলা জ্বালানো হয় সেখান থেকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এধরণের আগুন নেভানোর জন্য পানি, শুকনো বালি এবং ভেজা বস্তা দিয়ে নেভাতে হবে। তেলের আগুন: কোন অগ্নিকাণ্ড যদি তেল থেকে হয় তাহলে সেটা নেভাতে ফোম ব্যবহার করা হয়। সব আগুন পানি দিয়ে নেভানো যায় না ফায়ার সার্ভিস বলছে কেমিক্যাল মিশ্রিত ফোম এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। তবে এটা সময়সাপেক্ষ। তাই ভেজা বস্তা বা কাঁথা দিয়ে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। গ্যাস থেকে আগুন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসাবাড়িতে গ্যাস থেকে আগুন ধরলে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে গ্যাসের লাইন বন্ধ করার জন্য। এর পর বস্তা বা পানি দিয়ে বারি দিতে হবে। এতে করে বাতাস বন্ধ হয়ে যাবে। ধাতব পদার্থের আগুন: দেওয়ান সোহেল রানা বলছেন, ধাতব পদার্থের আগুন নেভাতে পানি দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে শুকনা বালি দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুরনো ঢাকার শ্যামপুরে একটি ডাইং ফ্যাক্টরিতে পেইন্ট এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মজুত করা। যেহেতু আগুন ধরতে দাহ্য-বস্তু বা জ্বালানী, অক্সিজেন এবং তাপ লাগে - তাই ধাতব পদার্থের আগুন থেকে তাপ সরিয়ে ফেললে আগুন নেভানো সহজ হবে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের আগুন: বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. ইয়াছির আরাফাত বলেন, ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট বা গোলযোগ থেকে আগুন ধরলে কখনোই সেই আগুন নেভাতে পানি দেয়া যাবে না। তিনি বলছিলেন, এতে করে যে ব্যক্তি পানি দেবেন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবেন। দেওয়ান সোহেল রানা বলছিলেন, এখানে অনেকে ভুলভাবে পানি দেন। তিনি বলেন "পানি দেয়া যাবে ছুঁড়ে বা কাটা কাটা ভাবে। যাতে করে আপনার সাথে পানির কোন ছোঁয়া না থাকে অর্থাৎ পানি থেকে আপনাকে বিযুক্ত থাকতে হবে"। ড. ইয়াছির আরাফাত বলেন "এই আগুন নেভানোর জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড দরকার হয়। এক্ষেত্রে এবিসিই ড্রাই পাউডার ব্যবহার করা হয়"। আর ইলেকট্রিসিটির লাইনটা বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে আগে। রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন: বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন খুব সতর্কতার সঙ্গে নেভাতে হয়। ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাসায়নিকের মধ্যে নানা রকমের উপাদান রয়েছে। তাই ফায়ার সার্ভিসকে ঘটনাস্থলে যেয়ে পর্যবেক্ষণ করে পদ্ধতি বের করতে হয়। দেওয়ান সোহেল রানা বলেনও, প্রাথমিক ভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস এবং কুয়াশা আকারে পানি দিয়ে নেভানো যায়। তবে এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য নিতে হবে। আর যেকোন আগুনের ঘটনায় সবার আগে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল পশ্চিমা বিশ্বকে বেঁধে দেওয়া পুতিনের ‘রেড লাইন'-এর অর্থ কী? ভারতকে বাদ রেখে চীনের টিকা স্টোরেজ উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্মতি
কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
আই এস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। এসডিএফের একজন শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা পোলাট ক্যান দাবি করেছেন, ইসলামিক স্টেটের এই নেতা কোথায় অবস্থান করছেন সেটা খুঁজে বের করতে তাদের সোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে আল-বাগদাদিকে হত্যার অভিযান চালায়। এই অভিযানের সময় আল-বাগদাদি নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেন। কুর্দি বাহিনীর এই দাবিকে ততোটা গুরুত্ব দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ২৭শে অক্টোবর আইএস নেতাকে হত্যা করার কথা ঘোষণা করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, কুর্দি বাহিনী এমন তথ্য সরবরাহ করেছিল যা তাদেরকে এই অভিযান চালাতে সাহায্য করেছে, তবে এই অভিযানে তাদের কোন সামরিক ভূমিকা ছিলো না। মি. ক্যান সোমবার এক টুইটার বার্তায় দাবি করেন, এই অভিযানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এসডিএফের। "আল-বাগদাদির কাছে পৌঁছানো, তিনি যেখানে আছেন সেই জায়গাটিকে শনাক্ত করা - এধরনের সব গোয়েন্দা তৎপরতাই সম্ভব হয়েছে আমাদের কাজের ফলে। আমাদের গোয়েন্দা সূত্রগুলো অভিযান সমন্বয়ের সাথে জড়িত ছিল, উপর থেকে বোমা ফেলা, তাতে অংশ নেয়াসহ এই অভিযান সফল করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের বাহিনী কাজ করেছে," বলেন তিনি। মি. ক্যান তার টুইটে লিখেছেন, "আমাদের নিজেদের সোর্স - যিনি আল-বাগদাদির কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন - তার একটি আন্ডারওয়্যার চুরি করে নিয়ে এসেছিলেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য, যাতে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনিই আল-বাগদাদি।" তিনি আরো বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের নেতা কোথায় আছেন সেটা খুঁজে বের করতে এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সাথে ১৫ই মে'র পর থেকে কাজ করে আসছিল। এক পর্যায়ে এসডিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে আল-বাগদাদি ইদলিব প্রদেশের বারিশা গ্রামে লুকিয়ে আছেন। এসডিএফ উপদেষ্টার টুইট। আরো পড়তে পারেন: কোরান শিক্ষক, ফুটবলার, খলিফা - বাগদাদির বিচিত্র জীবন 'আল-বাগদাদি কুকুরের মত মারা গেছে' - ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগদাদির মৃত্যুর পর সিরিয়ায় আইএসের ভবিষ্যত কী? মি. ক্যান বলেন, তাদের সোর্স এও জানতে পেরেছিল যে আইএস নেতা জারাবলুসের নতুন একটি গোপন আস্তানায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই-এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বাহিনী এসডিএফ। কিন্তু এমাসেরই শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলেই তুরস্কের সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ঢুকে এসডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। অভিযান সম্পর্কে কী জানি? আল-বাগদাদিকে হত্যার এই অভিযান সম্পর্কে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র বাহিনীকে আগেই জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তৎপর তুর্কী, ইরাকি ও কুর্দি বাহিনী এবং রাশিয়া যারা ইদলিব প্রদেশের আকাশে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মার্কিন সৈন্যরা সেখানে পৌঁছেই আল-বাগদাদিকে আত্মসমর্পণের আহবান জানায়। আল-বাগদাদি তখন একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। বারিশা গ্রামের দুটি বাড়ি ধ্বংস করা হয় মার্কিন বিমান হামলায় মার্কিন সৈন্যরা তখন দরজা দিয়ে ভেতরে না ঢুকে দেয়ালে গর্ত তৈরি করেন। তারা মনে করেছিলেন দরজায় বোমা পাতা থাকতে পারে। এক পর্যায়ে পলায়নপর আল-বাগদাদি নিজের শরীরে বেঁধে রাখা আত্মঘাতী ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান এবং সুড়ঙ্গের ভেতরেই মারা যান। মি. ট্রাম্প বলেছেন, বিশেষ বাহিনী দেহাবশেষ নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা চালায় এবং ফলাফল থেকে আল-বাগদাদির পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হয়। অভিযানের সময় সৈন্যদের সাথে কারিগরি লোকজনও ছিলো যারা তাদের সাথে করে আল-বাগদাদির ডিএনএ নিয়ে গিয়েছিল। খবরে বলা হচ্ছে, কারো মুখ দেখে তাকে চিহ্নিত করার প্রযুক্তি ও ডিএনএ পরীক্ষার ছোট্ট একটি যন্ত্র হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যেতে পারে। কারিগরি লোকজন হেলিকপ্টারে করে আল-বাগদাদির ছিন্নভিন্ন দেহের কিছু অংশ সাথে করে নিয়ে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মাইক মাইলে সোমবার বলেছেন, আমেরিকান কর্মকর্তারা তার দেহাবশেষের 'অন্তিম ব্যবস্থা' সম্পন্ন করেছে। এর বিস্তারিত তিনি আর কিছু বলেন নি। আরো পড়তে পারেন: সরকারের কিছু করার থাকবে না, সাকিব প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী গরুগুলোর গলায় বোমা বেঁধে দেয়া হচ্ছে কেন? মাদ্রাসার ছদ্মবেশে নির্যাতন কেন্দ্র : ভয়ঙ্কর সব তথ্য
আইএস নেতা আল-বাগদাদির চুরি যাওয়া অন্তর্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় তার পরিচয়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশে গহনার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় ধাতু হচ্ছে স্বর্ণ। তিনি বলছেন, গত এক মাসে তাদের কাছে কাজের অর্ডার একদম আসেনি বললেই চলে। তার কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, "এত ঘন ঘন স্বর্ণের দাম বাড়ছে যে অনেকেই ভাবতেছে একটু কমে আসুক দেখি। কমলে বানাবে। কিন্তু বরং দাম বেড়েই চলেছে।" তিনি বলছেন, পাকা সোনার বদলে গিনি সোনার দাম বাড়ছে - তাই তারা অবাক হচ্ছেন। বিষয়টি তিনি তুলনা করলেন, "ঘি এর থেকে তেলের দাম বাড়ার মতো হল বিষয়টা। পাকা সোনার চেয়ে খাদ দেয়া স্বর্ণের দাম বাড়ছে। কিন্তু হওয়ার কথা উল্টোটা। গিনি সোনার দাম কম হওয়ার কথা।" বাংলাদেশে গহনার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় ধাতু হচ্ছে স্বর্ণ। সব মিলিয়ে এই বছরের শুরু থেকে সাতবার স্বর্ণের দাম বাড়ল। জানুয়ারি মাসে স্বর্ণের দাম ছিলো ভরি প্রতি ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকা। জানুয়ারি মাসে যে স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকা ছিল, সোমবার থেকে ভরি প্রতি সেজন্যে আপনাকে প্রায় সাত হাজার টাকা বেশি খরচ করতে হবে। আজ থেকে ভরি-প্রতি স্বর্ণের দাম পড়বে ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বা বাজুস রোববার রাতে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এই বছর জানুয়ারি মাসে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছিল এই সমিতি। নতুন অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার পর দাম বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা। স্বর্ণের দাম আবারো কেন বাড়ানো হচ্ছে? বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম বাড়ছে তাই তাদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে। তিনি দাম বৃদ্ধির একটি ধারণা দিয়ে বলছেন, "আন্তর্জাতিক বাজারে বছরের শুরু থেকে পর্যায় ক্রমে আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম বেড়েছে আড়াইশ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক একুশ হাজার টাকা। ভরি প্রতি আট হাজার টাকা। কিন্তু আমরা একবারে না বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে বাড়াচ্ছি।" তিনি বলছেন, বাংলাদেশে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণ আমদানি শুরু না হলেও যারা লাগেজে করে স্বর্ণ আনেন, তারাও তো আন্তর্জাতিক বাজারের দরেই সেটি কিনে আনেন। নতুন অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার পর দাম বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা। তিনি বলছেন, যারা রিসাইকেল করা স্বর্ণ কিনছেন তারাও ওই আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুসরণ করেন। চীনের-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব? মি. আগরওয়ালা দাবি করছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক স্বর্ণের বাজারে। অতএব বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারের তার প্রভাব পড়েছে। কিন্তু সেটি কিভাবে কাজ করে? তিনি বলছেন, "চীনের নানা ধরনের পণ্যের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলো, তখন চীন ডলার ছেড়ে দিয়ে স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়িয়ে দিল। ডলারের রেট ফল করে [দরপতন হয়]। যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ক্রাইসিস [সংকট] হয়ে দাম ঊর্ধ্বগতি হয়ে গেছে।" তিনি আশংকা প্রকাশ করছেন স্বর্ণের দাম সামনে কমার কোন লক্ষণ তারা দেখছেন না। তিনি বলছেন, এর ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। আরো পড়ুন: একটি ধর্ষণের ঘটনা ও বাংলাদেশের স্বর্ণ নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ কারা রাখেন স্বর্ণ চোরাচালান কি নীতিমালা দিয়ে বন্ধ করা যাবে? স্বর্ণ ব্যবসায় সরকারী নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা বাংলাদেশে স্বর্ণ ব্যবসার উপর সেই অর্থে সরকারের এখনো কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ আছে। দেশে কী পরিমাণে স্বর্ণ রয়েছে তার কোন সঠিক হিসেবও তাদের কাছে নেই। বাংলাদেশে সরকার সম্প্রতি একটি স্বর্ণ নীতিমালা করেছে। বাংলাদেশে স্বর্ণ রিসাইকেল করার চল রয়েছে। অপ্রদর্শিত স্বর্ণকে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বর্ণের ডিলার নিয়োগ দিয়ে স্বর্ণ আমদানির কথাও বলা হচ্ছিল। সেসব বিষয়ে যদিও খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক সায়মা হক বিদিশা বলছেন, "এর সাথে কিছু সম্পর্কে আমি দেখতে পাচ্ছি। স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারেতো আগেও বেড়েছে। কিন্তু এখন তারা দামের সামঞ্জস্য করতে হচ্ছে বলছে কেন?" তিনি বলছেন, "সরকার এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার চেষ্টা করছে। এর সাথে নিশ্চয়ই কিছু আর্থিক বিষয় জড়িত। অবৈধ পথে আসলে অনেক টাকা ফাঁকি দেয়া যায়। এখন তারা সেই আর্থিক তারা সেই খরচ মিনিমাইজ করার চেষ্টা করছে বলে আমি মনে করি।" অন্যান্য খবর: ইরানের তেলবাহী ট্যাংকার ছেড়ে দিয়েছে জিব্রাল্টার বাংলাদেশে ডেঙ্গু মোকাবেলায় এসেছে স্মার্টফোন অ্যাপ ইউরিক অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরল কমবে যেভাবে
সোনার দাম এক মাসের মধ্যে তৃতীয় দফায় কেন বাড়লো?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
গরুর দুধ দোওয়াচ্ছেন এক কৃষক। গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পরদিন আজ সোমবার হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে এব্যাপারে একটি জরিপ প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে দেওয়ার জন্যে। দুধের মধ্যে এসব রাসায়নিক কীভাবে আসছে সেটা খুঁজে বের করতে এবং এটা বন্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটাও জানাতে বলেছে আদালত। সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি এই গবেষণাটি চালিয়েছে। কী পাওয়া গেছে গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অণুজীব রয়েছে ৯৬ শতাংশ দুধে। এদিকে প্যাকেটজাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে পাওয়া গেছে টেট্রাসাইক্লিন। একটি নমুনায় রয়েছে সিসা । একই সঙ্গে ৬৬ থেকে ৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে। বাজারে বিক্রি হচ্ছে দুধ। আরো পড়তে পারেন: দেশে স্মার্টফোন ঝুঁকিতে - নিরাপদ থাকার উপায় ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক কতটা কার্যকর হবে? বিজেপির সাথে টুইটারের সংঘাত কেন বাড়ছে? সাপ দেখিয়ে পুলিশের স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব। স্বাস্থ্যের জন্যে কতটা ক্ষতিকর ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এর ফলে অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে যাচ্ছে, আমরা রোগে আক্রান্ত হলে এই এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করলে আর কাজ হবে না। সেটা খুবই বিপদজনক।" তিনি জানান, শরীরে সিসা বেশি প্রবেশ করলে ব্রেনের ক্ষতি হয়। কীটনাশক সমস্যা সৃষ্টি করে খাদ্যনালীতে। গরুর দুধ এবং দই-এ এসব কিভাবে আসছে? শারমিন রুমি আলীম বলছেন, অণুজীব সাধারণত মিশে যেতে পারে দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্যাকেজিং- এর সময়। তিনি বলেন, "দুধ যখন প্রস্তুত করা হচ্ছে, পাস্তুরিত করা হচ্ছে, প্যাকেজিং করা হচ্ছে তখন প্যাকেজিং করার জিনিসপত্রের মধ্যে যদি কোন অণুজীব থাকে তখন সেটা দুধে চলে আসতে পারে। এই অণুজীব বাতাস থেকেও আসতে পারে, প্যাকেটটা যদি ঠিক মতো বন্ধ করা না হয় তখনও হতে পারে। আবার দুধকে পরিশুদ্ধ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেখান থেকেও ঢুকতে পারে।" চট্টগ্রামে দুধ নিয়ে যাচ্ছে এক ফেরিওয়ালা। তিনি বলেন, গরুকে যে খাবার দেওয়া হয় তার মধ্যেও এন্টিবায়োটিক ও কীটনাশক থাকতে পারে। সেসব খাবার থেকেও দুধে এগুলো চলে আসতে পারে। বাংলাদেশে এক সময় শুধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়িতে গরু পালা হতো। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও প্রচুর গরু পালন করা হচ্ছে। এসব গরুর দুধ থেকে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য সামগ্রী। কী করছে কর্তৃপক্ষ? বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য মাহবুব কবির বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, " আগামী সপ্তাহে আমরা সবাইকে নিয়ে বসবো। আলাপ আলোচনা করে একটা পথ বের করবো। প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছে।" "একা এটা করা সম্ভব না। কারণ ফিল্ড দেখছে একটা বিভাগ, আমরা সমন্বয় করছি, নিয়ন্ত্রণ করছি কিন্তু সবার সাহায্য লাগবে," বলেন মি. কবির।
গরুর দুধে সিসা ও রাসায়নিক ঠেকাতে কী করছে বাংলাদেশ সরকার?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
আগুনে পুড়ে গেছে নটরডাম ক্যাথেড্রালের অনেক অমূল্য সম্পদ জরুরি বিভাগ আগুন নেভানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম এবং অমূল্য সম্পদগুলো ক্যাথেড্রাল থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। তবে ভবনটির কাঠের চমৎকার কাজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু ৮৫০ বছর পুরনো এই গোথিক ভবনটির আর কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে? প্রথম রোজ উইন্ডো স্থাপন করা হয় ১২২৫ সালে রোজ উইন্ডো তেরশো শতকের পুরনো এই ক্যাথেড্রালে তিনটি রোজ উইন্ডো রয়েছে. যেটি এই ভবনটির সবচেয়ে বিখ্যাত বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি। আগুনের পর এর কোনটি এখন আর টিকে আছে কিনা, তা পরিষ্কার নয়। প্রথমটি স্থাপন করা হয় ১২২৫ সালে এবং সেখানে যেভাবে নানা রঙের কাচ বসানো হয়, তা সবার নজর কাড়ে। তবে কোন জানালাতেই আর প্রাচীন সেই রঙিন কাচগুলো নেই, কারণ আগের আগুনে সেসব নষ্ট হয়ে গেছে। নটরডাম দেখতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থী ভবনের সামনের দুইটি গোথিক গম্বুজের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন দুই গম্বুজ নটরডাম দেখতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থী ভবনের সামনের দুইটি গোথিক গম্বুজের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে থাকেন যেটি ক্যাথেড্রালের পশ্চিম ফটকে অবস্থিত। ১২০০ সালের দিকে পশ্চিম ফটকের কাজ শুরু হয়। তবে প্রথম টাওয়ারটি, উত্তর পাশে যেটি রয়েছে, সেটি বানাতে সময় লাগে ৪০ বছর। আর দক্ষিণ পাশের টাওয়ারটির কাজ শেষ হয় আরো দশবছর পরে, ১২৫০ সালে। দুইটি টাওয়ারই ৬৮মিটার উঁচু, যেখানে উঠতে ৩৮৭ পদক্ষেপ লাগে। এখান থেকে পুরো প্যারিস শহরটিকে চমৎকারভাবে দেখা যায়। সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভবনের ছাদের ওপর বসে থাকা একটি মূর্তি, যে শহরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। গার্গোয়েলস যারা ক্যাথেড্রালের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে প্যারিস শহর দেখার জন্য উপরে উঠেছেন, তাদের এই ক্যাথেড্রালের আরেকটি আকর্ষণীয় উপাদান পার হয়ে যেতে হয়েছে, সেটা হলো গার্গোয়েলস। অনেক পশুর আকৃতি মিলিয়ে পৌরাণিক এই ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভবনের ছাদের ওপর বসে থাকা একটি মূর্তি, যে শহরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নটরডামের ঘণ্টা ঘণ্টা এই ক্যাথিড্রালে দশটি ঘণ্টা রয়েছে। সবচেয়ে বড়টির নাম ইমানুয়েল, যার ওজন ২৩ টন এবং সেটি বসানো হয়েছে ১৬৮৫ সালে। ২০১৩ সালে ৮৫০ বছরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে উত্তর টাওয়ারে সবচেয়ে ছোট ঘণ্টাটি বসানো হয়। যদিও ফরাসি বিপ্লবের সময় আসল ঘণ্টাগুলোকে তরল করে কামানের গোলা বানানো হয়েছিল। তবে প্রতিকৃতি বসানোর সময় একেকজন সেইন্টের নামে একেকটি ঘণ্টার নামকরণ করা হয়। ভিক্টর হুগোর উপন্যাসের নায়ক কোয়াসিমোডো এরকম একটি ঘণ্টার বাদক হিসাবে কাজ করতেন। বামে এক বছর আগে তোলা গির্জার বুরূজের ছবি, আর ডানেরটি তোলা সোমবারে যখন এটি আগুনে পুড়ছিলো গোথিক স্পিয়ার নটরডামের আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনা হলো ১২শত শতকে স্থাপিত গোথিক স্পিয়ার , যা অনেকটা পিরামিডের মতো উপরে উঠে গেছে। তবে সোমবারের আগুনে এটি ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের ইতিহাসে অনেকবার এটিতে পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ফরাসি বিপ্লবের সময় এটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং ১৮৬০ সালে পুনরায় নির্মিত হয়। পুরো ক্যাথেড্রালের এসব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নষ্ট হয়ে পাওয়াকে ফরাসি গোথিক স্থাপত্যকলার ওপর অপূরণীয় আঘাত বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। শেষ চিহ্ন নটরডামকে মনে করা হতো প্যাশন অফ ক্রাইস্টের ভগ্নাবশেষের শেষ ঠিকানা, যার মধ্যে রয়েছে ক্রসের একটি টুকরো, একটি নখ এবং পবিত্র কাঁটার মুকুট। তবে এই মুকুটটি আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নটরডামে আগুন দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফরাসিদের কাছে নটরডাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিবিসির সংবাদদাতা হেনরি আস্টিয়ার বলছেন, নটরডামের মতো আর কোন স্থাপনাই এভাবে ফ্রান্সকে প্রতিনিধিত্ব করে না। জাতীয় প্রতীক হিসাবে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যেতে পারে প্যারিসের আরেকটি স্থাপনা ইফেল টাওয়ারকে, যেটি মাত্র একশো বছরের কিছু বেশি পুরনো, যদিও নটরডাম প্যারিসে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বাদশ শতক থেকে। এই ভবনের নাম উঠে এসেছে ফ্রান্সের অন্যতম সেরা উপন্যাস, ভিক্টর হুগোর হ্যাঞ্চব্যাক অফ নটর-ডামে। ফরাসি বিপ্লবের সময় সর্বশেষ এই ভবনটি বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়। তখন ধর্মবিরোধী উগ্রবাদীদের হামলায় বেশ কয়েকজন সেইন্টের ভাস্কর্য কেটে ফেলা হয়। দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সত্ত্বেও টিকে গিয়েছে ভবনটি। প্যারিসে বসবাসকারী যেসব জিনিস নিয়ে গর্ব করে থাকেন, এই ভবনটি তারই একটি। শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণীয় নয়, বছরে এখানে অন্তত ২০০০ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
যেসব কারণে নটরডাম এতো গুরুত্বপূর্ণ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সংসদে বাজেট পেশ শুরু করছেন আহম মুস্তফা কামাল। তবে এবার অসুস্থতার জন্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে জীবনের প্রথম বাজেটটি পুরোপুরি উপস্থাপন করতে পারেননি আহম মুস্তফা কামাল। শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপনের পর যখন বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি তখন তাকে বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছিলো। এর মধ্যেই অর্থমন্ত্রী জানান যে এবারের বাজেটে দাম বাড়ানোর কোন উপাদান তিনি রাখেননি। তবে বলেছেন, করদাতার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়িয়ে এক কোটিতে নেয়া হবে আর পাশাপাশি চালু হবে ভ্যাট আইন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি। বক্তৃতার শুরুর দিকেই অর্থমন্ত্রী বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন অসুস্থতার জন্য। এ অবস্থায় হাল ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতার বাকি অংশ তিনিই সংসদে পড়ে শোনান। শুরুতেই তিনি প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ও বাজেট ঘাটতি সম্পর্কে একটি ধারণা দেন জাতীয় সংসদকে। প্রথম বাজেট পেশের আগে সংসদ করিডরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে অর্থমন্ত্রী। আরো পড়তে পারেন: ভ্যাট ফাঁকি ঠেকাতে আসছে ইএফডি, কীভাবে কাজ করবে এটি? স্বেচ্ছায় রক্তদান: যতসব ভুল ধারণা তিনি বলেন, "২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ব্যয় খাতে বরাদ্দ ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ১লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা।" প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতকে প্রণোদনা দিতে ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়াতে ৭৪ হাজার কোটি টাকা এবং কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ প্রণোদনার প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রীর হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০৩০ সাল বা এরপরের জন্য দশ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির টার্গেট করেছে তার সরকার। "আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৮.২ শতাংশ। ২০৩০ সাল ও তার বেশি সময়ের জন্য দশ শতাংশ টেকসই প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থে দুই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। বিদেশ গমনকারী কর্মীদের বিমার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।" তবে এবারের বাজেটেও কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রেখেছে সরকার। অপ্রদর্শিত আয়ে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টও কেনা যাবে। পাশাপাশি দীর্ঘকাল বন্ধ রাখার পর আবার চালু হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এমপিওভুক্তির কর্মসূচি। বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের গ্রুপ বিমার আওতায় আনা এবং সার্বজনীন পেনশনের প্রস্তাব যেমন এসেছে তেমনি কৃষকদের জন্য শস্য বীমা ও কারখানার শ্রমিকদের জন্য এসেছে দুর্ঘটনা ভাতা দেয়ার প্রস্তাব। আবার গত কয়েকবছরের আলোচিত ব্যাংক খাতের জন্য ব্যাংক কমিশনের কথাও উঠে এসেছে বাজেট বক্তৃতায়। বাদ যায়নি শেয়ার বাজার প্রসঙ্গও। "যেসব ঋণ গ্রহীতা পরিশোধ না করতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুঁজি বাজারে ভিজিলেন্স জোরদার করা হবে। বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে।" প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখন থেকে বিমানবন্দর দিয়ে সোনা আনায় আগের চেয়ে কম ট্যাক্স দিতে হবে। তবে বাজেট পাশ হলে দাম বাড়বে দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা স্মার্টফোন, সিগারেট, গুল, জর্দা ও আইসক্রিমের মতো পণ্যের। আর দাম কমার সম্ভাবনা আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ক্যান্সারের ঔষধ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিনের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যবহার্য ফিচার ফোনের মতো বেশ কিছু পণ্যের। জ্যোতিষী ও ঘটকালির সেবা নিতে হলেও এখন থেকে কিন্তু একটু বেশিই ব্যয় করতে হবে। আর খরচ বাড়ছে মোবাইল ফোনে কথা বলা, বার্তা দেয়া কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। ফোন কোম্পানিগুলোকেও এখন থেকে গুনতে হবে বাড়তি কর।
কর আদায় বৃদ্ধি, নানা প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পেশ হলো বাংলাদেশের নতুন বাজেট
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাবরি মসজিদের ছাদে গেরুয়া পতাকা উড়াচ্ছে একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সাবেক প্রধান লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং অন্য দু'জন নেতা মুরলী মনোহর যোশি ও উমা ভারতী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য এরা উগ্রপন্থী হিন্দুদের প্রতি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঐ ঘটনার পর ভারত জুড়ে যে দাঙ্গা বাধে তাতে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়। হিন্দুরা দাবি করে বাবরি মসজিদ যে জায়গাটিতে অবস্থিত সেখানে হিন্দুদের অন্যতম দেবতা রামের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ১৬শ শতকে ঐ এলাকায় মুসলিম আগ্রাসনের পরে হিন্দু মন্দিরটি ভেঙ্গে সেই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আরো দেখুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? বাবরি মসজিদ ধ্বংস: বিচার হবে বিজেপি নেতাদের বাবরি মসজিদ: হিন্দু-মুসলিম সমঝোতা চায় আদালত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই বরাবরই বলে আসছে যে রীতিমত পরিকল্পনা করেই মসজিদটি ভাঙা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশের পর এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। আদালত তার রায়ে বলেছে, এই মসজিদটি ধ্বংসের দায়দায়িত্ব বিজেপির এই তিনজন শীর্ষ নেতাকে গ্রহণ করতেই হবে। লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং উমা ভারতী।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ তিন বিজেপি নেতা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইরানের সৈন্যরা বসরার কাছে একটি যুদ্ধে বিজয় উদযাপন করছে (২৪ জানুয়ারি, ১৯৮৭) যুদ্ধের তৃতীয় সপ্তাহে বড় ধরণের সাফল্য পেয়ে যায় ইরাক। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর খোররামশা দখল করে নেয় ইরাক। "প্রথম ক'সপ্তাহে ইরাকিরা কোনো প্রতিরোধের মুখেই পড়েনি। তারা ইরানের অনেক জায়গা দখল করে নেয়। ইরাকের সবাই তখন ভেবেছিল সাদ্দাম হোসেন যুদ্ধে জিতে গেছেন। সাদ্দাম হোসেন টিভিতে একদিন বললেন, ছয় দিনে তিনি যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। কিন্তু তিনি ভুল ছিলেন।" যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিবিসিকে বলছিলেন, ইরাকি চিকিৎসক ও কবি আহমেদ আল-মুশতাত যাকে যুদ্ধের শেষ দিকে বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়েছিল। দক্ষিণে বসরা এবং পরে উত্তর আল-হাফজার রণাঙ্গনে পাঠানো হয়েছিল তাকে। ১৯৮০ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয় আহমেদ আল-মুশতাতের বয়স ছিল ১৮। বাগদাদে তিনি তখন একজন মেডিকেল ছাত্র ছিলেন। আট বছর পর যখন ইরান-ইরাক যুদ্ধ যখন শেষ হয়েছিল তিনি তখন ২৬ বছরের যুবক। "আমি মেডিকেল স্কুল শেষ করলাম । এক বছর হাসপাতালে কাজ করলাম। তারপর চলে গেলাম যুদ্ধে।" তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, একটা সময় যুদ্ধে না গিয়ে উপায় থাকবে না। "ঐ সময় শুধু আমি নই - প্রতিটি ইরাকির জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হতো। টিভি খুললেই যুদ্ধের খবর । হঠাৎ একদিন শুনলেন আপনার প্রতিবেশীর ছেলে রণাঙ্গনে মারা গেছে। আমি আমার অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি। পরিবারের অনেক সদস্য হারিয়েছি। জঘন্য সময় ছিল সেটা।" '"আমি লেখালেখি করতাম। কিন্তু যুদ্ধের বিরুদ্ধে কিছু লেখা সম্ভবই ছিলনা। নিরাপত্তা গোয়েন্দারা সর্বক্ষণ সবার ওপর কড়া নজর রাখতো।" দক্ষিণ-পূর্ব ইরাকে ইরানের সৈন্যদের কাছ থেকে একটি জায়গা পুনর্দখলের পর ইরাকি সৈন্যদের বিজয় উদযাপন, ২০ এপ্রিল, ১৯৮৮ জবরদস্তি করে রণাঙ্গনে যুদ্ধ শুরুর সাত বছর পর আহমেদ চিঠি পেলেন তাকে সেনাবাহিনীর মেডিকেল ইউনিটে যোগ দিতে হবে। "এরকম একটি চিঠি একদিন আসবে আমি ধরেই নিয়েছিলাম, কিন্তু আমি চাইনি তা আসুক। কারণ ঐ সময় রণাঙ্গনে গিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা ছিল ৯০ ভাগ। কিন্তু নিয়তি অস্বীকার করার কোনো উপায় ছিল না, কারণ আপনি ঐ নির্দেশ অবজ্ঞা করতে পারতেন না। পালানোর কোনো উপায় ছিলনা। পালালেই আপনাকে ধরা পড়তে হবে, আপনাকে না পেলেও আপনার পরিবারকে তারা রেহাই দেবেনা। খুঁজে না পেলে কি হতে পারতো? "সোজা মেরে ফেলতো। আত্মরক্ষার, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই ছিলনা।" ১৯৮৭ সাল নাগাদ যুদ্ধে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। কোনো পক্ষই বলতে পারছিল না তারাই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। লাখ লাখ মানুষ তার মধ্যে মারা গেছে। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছিল। খোমেনির ছবিতে লাথি মারছে ইরাকি সৈন্যরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চেহারা এত সৈন্য মারা গিয়েছিল যে এক পর্যায়ে দুটি দেশই জোর করে তরুণ যুবকদের ধরে সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে রণাঙ্গনে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। যুদ্ধের চেহারা নিয়েছিল অনেকটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো - কাঁটাতার, মাইন আর ট্রেঞ্চে ভরা রণাঙ্গন। সব সময় মাস্টার্ড গ্যাস হামলার ভয়। বসরার মরুতে ৫০ হাজার মৃতদেহ ইরাকের তেল সমৃদ্ধ বসরার দখল নিয়ে লড়াইতে ১০ হাজার ইরাকির মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ১২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার মরুতে ৫০ হাজার ইরানির মৃতদেহ পচছিল। ইরাকিদের শক্ত অবস্থানের ওপর ইরানি তরুণ স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধারা ঢেউয়ের মতো একের পর এক হামলা চালিয়েছিল। আয়াতোল্লাহ খোমেনির ডাকে শহীদ হওয়ার উন্মাদনা নিয়ে ইরাকি মেশিনগান উপেক্ষা করে মাইন-ভর্তি এলাকা পেরিয়ে দলে দলে তারা ইরাকি অবস্থানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে শুরু করে। আহমেদ তখন বসরার কাছেই একটি ইরাকি ব্রিগেডের সাথে ছিলেন। "আমাকে বসরার কাছে আমরা নামে একটি জায়গায় একটি ব্রিগেডের সাথে যুক্ত করা হলো। সে বছর যুদ্ধে তখন তুঙ্গে। আমি যখন প্রথমবার আমার ইউনিটের কাছে যাচ্ছিলাম, গোলার শব্দ ততই জোরালো হচ্ছিল। সেইসাথে আমার হৃৎপিণ্ডের গতিও বাড়ছিল।" ইউনিটে মোট আটজন পুরুষ নার্স ছিল, ইরাকের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা। উত্তরের কুর্দি এলাকা থেকে কুর্দি, সুন্নি, শিয়া। আহবাজ বন্দী শিবিরে ইরাকি যুদ্ধবন্দীদের ওপর নজর রাখছে ইরানের একজন সৈন্য, ২২ জানুয়ারি, ১৯৮৭ "সবই আমার খেয়াল রাখছিল, কারণ আমার কোনো সামরিক অভিজ্ঞতাই ছিলনা। সুতরাং তারা আমাকে শেখাতো কীভাবে মাইনফিল্ড এড়িয়ে চলতে হবে, কিভাবে বোমা থেকে বাঁচতে হবে। রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা কিভাবে বুঝতে হবে, কী করতে হবে। খুব ভালো ছিল তারা।" "ঐ দিনগুলোর কথা আমি সবসময় মনে পড়ে। অনেক সময় স্বপ্নেও দেখি।" ১৯৮৮ সাল নাগাদ দুই দেশই ক্লান্ত হয়ে পড়লো। শেষের দিকে যুদ্ধ ইরাকের উত্তরের সীমান্তে জোরদার হলো। আহমেদের ব্যাটালিয়ানকে সেখানে পাঠানো হলো। যদিও ইরান তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজী হয়েছিল, তারপরও উত্তর সীমান্তে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিলো।। "তিন দিনে আমরা প্রায় দেড় হাজার সৈন্য হারাই। রক্তে ভেজা আহত সৈন্যরা যন্ত্রণায় চিৎকার করতো। ভয়ানক দৃশ্য সব। আমরা যতটুকু পারতাম করতাম। এখনও সেই বারুদ মেশানো ধোঁয়ার গন্ধ পাই আমি।" রামাদির কাছে এক ইরাকি বন্দী শিবিরে ইরানী যুদ্ধবন্দী, এপ্রিল, ১৯৮৫ প্রাণে বাঁচতে সৈন্যদের আকুতি যুদ্ধ হচ্ছিল হালাপজা শহরের কাছে ছোটো একটি পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। ইরানী বাহিনীর হামলার মুখে তিনদিন পর ইরাকি বাহিনীকে পিছু হটতে হয়েছিল। এরপর ব্রিগেড কমান্ডার আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, তিনি সৈন্যদের লড়াই থেকে পালাতে সাহায্য করেছেন - কারণ অল্প জখম সৈন্যদের তিনি ফিল্ড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। "তিনি আমাকে বললেন, তোমার জন্যই আমরা এই লড়াইতে হেরে গেলাম। আমি অবশ্য বুঝতে পারছিলাম তিনি কারো ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছিলেন।" আহমেদ ভয় পেয়েছিলেন, তাকে হয়ত কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্ত অন্য ক'জন অফিসারের হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। কিন্তু কমান্ডারের অভিযোগ কি সত্যি ছিল? তিনি কি সত্যিই রণাঙ্গন থেকে সরতে সৈন্যদের সাহায্য করেছিলেন? এই প্রশ্নে একটু মৃদু হেসে আহমেদ বলেন, "আমি সবাইকে রক্ষা করতে চাইছিলাম। তারা আমার চোখের দিকে এমনভাবে তাকাতো যেন বলতো 'প্লিজ আমাকে আর যুদ্ধ করতে পাঠিও না।' আমি এখনও অনেক সৈন্যের নাম মনে করতে পারি। আমি মনে করতে পারি তারা আমার প্রতি কতটা কৃতজ্ঞ ছিল। তাদের জীবন বেঁচেছিল । কম-বেশি ১০ লাখ ইরাকির মৃত্যু হয়েছিল আট বছর ধরে চলা ঐ যুদ্ধে। যদিও এই যুদ্ধ নিয়ে বাইরের বিশ্বে তত বেশি কথা হয়নি, কিন্তু আহমেদের মতো ঐ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা যাদের হয়েছে, যারা যুদ্ধ করেছে এবং বেঁচে গেছে, তারা কখনো ভোলেননা। "এখনো বহু সৈন্যর মুখ আমার মনে আছে। লড়াইতে যাওয়ার আগে তারা বিদায় জানিয়ে যেত। তারাও বুঝতো, আমিও জানতাম তারা হয়তো ফিরবে না। আমি সব মুখগুলো মনে করতে পারি। ১৯৮৮ সালের ২০ অগাস্ট ইরাক-ইরান যুদ্ধ শেষ হয়। দু'বছর পর ইরাক আরেকটি যুদ্ধ শুরু করে, কুয়েতে সৈন্য পাঠিয়ে। আহমেদ অবশ্য সেই যুদ্ধে যাননি। ১৯৯৪ সালে তিনি ইরাক ছেড়ে যান। এখনও তিনি ডাক্তার। একইসাথে তিনি একজন কবি। কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে তার।
ইরাক-ইরান যুদ্ধ: মধ্যপ্রাচ্যের ৮ বছরের নৃশংস যে লড়াইতে কেউ জেতেনি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তবে গরম এড়িয়ে কিভাবে সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় সে বিষয়ে ১০টি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের লাফবারাহ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল স্লিপ রিসার্চ ইউনিটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক কেভিন মরগান এবং স্লিপ কাউন্সিলের লিসা আর্টিস এ বিষয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তা তুলে ধরা হল। ১. কোন দিবানিদ্রা নয় গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা মোটেও একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো। আরো পড়তে পারেন: ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? ঘুম নিয়ে যেসব ধারণা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, কিন্তু ভালো ঘুমের রহস্য কী? রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনে ঘুম ঘুম ভাব বেশি থাকে। ২. সময় গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে। ৩. শোয়ার ঘর ঠাণ্ডা রাখতে হবে রাতে যাতে শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা থাকে তার জন্য ছোট-খাটো কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার জন্য পর্দাগুলো টেনে রাখা যেতে পারে। বাড়ির যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে, সেদিকের জানালা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এতে করে বাইরে গরম বাতাস ঘরের ভেতর ঢুকতে পারবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে জানালা গুলো খুলে দিতে হবে যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে। এক নারী আই মাস্ক পরে ঘুমাচ্ছেন। ৪. বিছানা বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়। তবে গরমে ঘরের পরিবেশ গরম থাকলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়। যার কারণে মাঝে মাঝে শীত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাঁথা রাখা যেতে পারে। ৫. পাখার ব্যবহার গরম আবহাওয়ায় ছোট একটি পাখাও বেশ কাজে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন ঘাম হয়। পাখার বাতাস ঘাম দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে। যা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে পাখা না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে পানি গরম রাখার ব্যাগে গরম পানির পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানি রেখে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। শুনতে অদ্ভুত হলেও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে ভেজা মোজা। যে মোজাটি পরবেন সেটি আগে থেকেই ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে তারপর পরুন। এতে আপনার ত্বক ও শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে আসবে। ৬. বেশি করে পানি পান করুন সারা দিন ঘন ঘন পানি পান করুন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক সাথে বেশি পরিমাণে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। একদিকে আপনি যেমন তৃষ্ণার্ত হয়ে ঘুম থেকে জাগতে চাইবেন না, ঠিক সেভাবে বেশি পরিমাণে পানি পান করে নিশ্চয়ই রাতে বেশ কয়েক বার বাথরুমে যাওয়া এড়াতে চাইবেন আপনি। ৭. কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না। সেই সাথে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। মদ খাওয়া ঘুমের জন্য উপকারি, এমনও ধারণা প্রচলিত আছে অনেক মাঝে। অনেকেই গরম আবহাওয়ার কারণে বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে থাকেন, যা ঠিক নয়। কারণ অ্যালকোহল ঘুম পাড়িয়ে দিতে সাহায্য করলেও শেষ রাতে ঘুম ভাঙার প্রবণতা তৈরি করে এবং সর্বোপরি ঘুমের মান কমিয়ে দেয়। ৮. শান্ত থাকুন ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরো দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। আর ঘুম আসলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যেতে হবে। ৯. শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন বলা হয় যে, সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় শিশুদের। তবে পরিবারের মধ্যে ছোট কিছুর পরিবর্তনও তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা তৈরি করতে পারে। গরমের কারণে ঘুম থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরাও তাই তাদের ঘুমাতে যাওয়ার এবং গোসল করার সময় ও অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন। গরমের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না তাদের। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল খুব ভালো ঘুমে সহায়ক। শিশুরা যেহেতু বলতে পারে না তাই শিশু ঘুমালে তার কপাল, পিঠ এবং পেটে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে সে অতিরিক্ত গরম অনুভব করছে কিনা। ১০. ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হলে প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। কিন্তু ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ। এর কারণে দিনে দু-একবার হাই তুলতে হলেও তা আসলে স্বাস্থ্যের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না।
গরমকে উপেক্ষা করে সহজে ঘুমিয়ে পড়ার ১০টি উপায়
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
নিহতদের জানাজাসহ শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে নারায়ণগঞ্জে "সকাল পর্যন্ত মারা গেছে ১৭ জন। কিন্তু যারা এখনো বেঁচে আছে তাদের অবস্থাও খুব জটিল। অনেকেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রীও কিছুক্ষণ আগে খোঁজ নিয়েছেন ও নির্দেশ দিয়েছেন সম্ভাব্য সব কিছু করতে। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি," মিস্টার সেন বলছিলেন বিবিসি বাংলাকে। ঢাকার কাছের শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে এসব মানুষ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন। স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে অন্তত দুটি এসি পুড়ে গেছে ও জানালার কাঁচ উড়ে যায়। এরপর মসজিদে আগুন ধরে যায়। এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে রাতে শতাধিক মুসল্লি এসেছিলেন। নামাজ শেষে তাদের অনেকে তখনো মসজিদেই ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ হয়। মসজিদটির ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়। নারায়ণগঞ্জের দমকল বাহিনীর উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, মসজিদটির মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গেছে। সেই পাইপে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে হয়তো অনেক গ্যাস জমে ছিল। এই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে। তারপর মসজিদের এয়ার কন্ডিশনারগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে কীভাবে গ্যাসের পাইপ গেল, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষ জানিয়েছেন, মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা প্রায়ই গ্যাসের গন্ধ পেতেন। দমকল কর্মীরা গিয়ে মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বেরুতে দেখেন। তারা গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেন।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছের শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত এগার জন মারা গেছে। এদিকেএ ঘটনা তদন্তের জন্য আলাদা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস ও জেলা প্রশাসন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোন ধরনের আগুন কীভাবে নেভাবেন? ছবিতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুন অগ্নি-দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ঢাকার ১৩শ শপিং মল ও মার্কেট
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ: ১৭ জন নিহত, বাকীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইটুয়াংগো বাঁধ। কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল এটি। কিন্তু পুরো দেশের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করলো এই বাঁধ। ধারণা করা হয় এই নদীর তীরে বাস করে প্রায় এক কোটি মানুষ। কলম্বিয়ার মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে কাউকা নদীর ওপর রয়েছে অনেক হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প-কারখানা, নগর-বন্দর-গ্রাম। লাখ লাখ কৃষক আর মৎস্যজীবীর জীবন চলে এই নদীর ওপর নির্ভর করে। গত বছরের মে মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল কলম্বিয়ায়। নদীর একটা জায়গায় একটা বিরাট বাঁধ দেয়া হচ্ছিল। এই বাঁধ নির্মাণের সময় সেখানে একটা বড় ত্রুটি দেখা দিল। সেটির কারণে ভাটিতে হঠাৎ বন্যা হলো। হাজার হাজার মানুষ সেই বন্যায় তাদের বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হলো। বাঁধ তৈরির কাজ যখন চলছে তখন তোলা ছবি। কিন্তু এরপর যা ঘটলো তা বেশ নাটকীয়। এই বিরাট নদী যেন উধাও হয়ে গেল। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাউকা নদীর পানি এতটাই শুকিয়ে গেল যে, স্থানীয় হাইড্রোলজিস্টরা বলছেন, তারা এই নদীর পানিও আর মাপতে পারছেন না। কাউকা নদীর ভাগ্যে কী ঘটেছে কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুয়ের্তো ভালডিভিয়া এবং ইটুয়াংগো শহরের কাছে তৈরি হচ্ছে এক বিরাট হাইড্রো-ইলেকট্রিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেটির জন্য সেখানে কাউকা নদীতে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। এই নির্মাণ কাজটি করছে ইপিএম নামে একটি কোম্পানি। কাউকা নদীর পানি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য তারা প্রথমে তিনটি টানেল তৈরি করে। কিন্তু গত বছরের মে মাসের শুরু থেকে সেখানে সমস্যা দেখা দেয়। ৭ই মে সেখানে পানি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তৈরি টানেলের কাছে একটি বিরাট খাদ তৈরি হয়। একই সঙ্গে ভূমিধস শুরু হয়। ফলে টানেলগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকৌশলীরা অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি। বন্যায় প্লাবিত হতে শুরু করলো পুয়ের্তো ভালডিভিয়া পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাঁধের অপর পাশে পানির চাপ বাড়তে থাকে। এই চাপ কমানোর কোন উপায় তখন আর ছিল না। ফলে পুরো জলাধার পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশদিন পর প্রচন্ড পানির চাপে একটি টানেলের মুখ আবার খুলে যায়। এরপর এতটাই তীব্র বেগে ওই টানেল দিয়ে পানি ছুটতে থাকে যে, তা ভাটিতে ব্যাপক বন্যা তৈরি করে। ২৫ হাজার মানুষকে তখন জরুরি ভিত্তিতে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু হিড্রোইটুয়াংগো বাঁধের সমস্যা আরও জটিল রূপ নিল। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে প্রচন্ড বৃষ্টি হলো। বাঁধের উপরের দিকটায় অনেক পলি জমলো। ফলে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে বাঁধের উপর দিয়ে পানি উপচে পড়তে লাগলো। পুরো বাঁধটি তখন দুর্বল হয়ে গেল। প্রকৌশলীরা আশংকার প্রকাশ করলেন যে, পুরো বাঁধটি এখন ধসে পড়তে পারে। প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষকে সতর্কাবস্থায় রাখা হলো। কাউকা নদী: যখন ছিল ভরা যৌবন বন্যা থেকে খরা, তারপর পুরো নদী উধাও কীভাবে এই বাঁধের ধস ঠেকানো যায়, তখন থেকে সেটিই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পেতে লাগলো। যেহেতু টানেলগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ভূমিধসে, তাই নদীর পানি ছাড়ার উপায় একটাই। তাহলো জলাধারের উচ্চতায় পানি পৌঁছানোর পর কিছু ফ্লাডগেট তৈরি করে সেখান দিয়ে এই পানি ছাড়া। কিন্তু যখন শুকনো মৌসুম শুরু হলো, তখন পানির উচ্চতা নেমে গেল অনেক নীচে। ফলে নদীর অপরপাশে পানি ছাড়ার কোন উপায় আর রইলো না। পানি কমতে থাকায় এ বছরের ১৬ই জানুয়ারি অপরপাশে অবমুক্ত করার পানির পরিমাণ নেমে আসলো প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৩৯৫ কিউবিক মিটারে। আর ৫ই ফেব্রুয়ারি একদম বন্ধ হয়ে গেল পানির স্রোত। কয়েক ঘন্টার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল কাউকা নদী। পুয়ের্তো ভারডিভিয়া শহরের কর্মকর্তারা ৪ ফেব্রুয়ারি নদীতে পানির গভীরতা পেয়েছিলেন ১ দশমিক ৯৬ মিটার। ৫ই ফেব্রুয়ারি তা কমে দাঁড়ালো ৪২ সেন্টিমিটারে। শুকিয়ে যাওয়া কাউকা নদী যেখানে একসময় ছিল এক প্রমত্তা নদী, সেখানে এখন কেবল পাথর আর কাদা। হাজার হাজার মাছ সেখানে পানির অভাবে ছটফট করছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সেসব মাছ ধরে তাদের প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নদীর পানি পরিমাপের কাজ করেন যে প্রকৌশলীরা, তারা বলছেন, পানির স্রোত এখন এতটাই ক্ষীণ যে, তাদের যন্ত্রে আর সেটি মাপা যায় না। তাদের যন্ত্রের রিডিং হচ্ছে- শূন্য। আর নদীর ভাটিতে এতদিন যারা বন্যার আশংকার মধ্যে ছিলেন, এবার তারা খরায় আক্রান্ত। তাদের জমিতে সেচ দেয়ার পানি নেই। মাছ ধরার উপায় নেই। কতদিন এই অবস্থা চলবে, কবে আবার নদী তার স্রোত ফিরে পাবে কেউ বলতে পারছেন না।
একটি নদীর মৃত্যু: কীভাবে মাত্র এক সপ্তাহে অদৃশ্য হয়ে গেল কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
হার্ভি ওয়েইনস্টেইন গত ৬ জানুয়ারি হার্ভি ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচার শুরু হয় নিউইয়র্কের আদালতে। সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করে জুরি বোর্ড। ২০০৬ সালে মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন এবং জেসিকা মানকে ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগে হার্ভি ওয়াইনস্টাইনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত। তবে যৌন হামলার গুরুতর অভিযোগ থেকে তিনি নিষ্কৃতি পেলেও তার ২৫ বছরের সাজা হতে পারে। সাজা ঘোষণার আগে তাকে রিকার্স দ্বীপের জেলখানায় পাঠানো হবে খবরে জানা যাচ্ছে এই রায় শোনার পর তার বুকে ব্যথা শুরু হয় এবং তাকে নিউইয়র্কে বেলভ্যু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মি টু মুভমেন্ট এর বড় সাফল্য তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠে তারপরেই নারীরা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনে কাতারে চলে আসে এবং মি টু মুভমেন্ট শুরু করে। অন্তত ৮০ জন নারী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। হলিউডের নামী তারকারা তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন। তাদের মধ্যে সালমা হায়েক এবং উমা থরম্যানসহ আরো অনেকে রয়েছে। মার্কিন তারকা রোস ম্যাকগাওয়ানের (ডানে) সাথে হার্ভি ওয়েইনস্টেইন তার বিরুদ্ধে এখনো লস এঞ্জেলসে ২০১৩ সালে দুইজন নারীকে নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এই রায়কে মি টু আন্দোলনের বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। হার্ভি ওয়েইনস্টেইন ছিলেন হলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী সিনেমা প্রযোজকদের একজন। তার মিরাম্যাক্স এবং উইনস্টেইন কোম্পানি এখন পর্যন্ত ৮১টি অস্কার পুরষ্কার পেয়েছে। বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ডেমোক্রেটিক পার্টিতে মোটা অংকের তহবিল যোগান দেন যারা, তাদেরও অন্যতম তিনি। ২০০২ সালে গুইনেথ প্যালট্রোর সঙ্গে হার্ভি ওয়েইনস্টেইন কিন্তু বহু বছর ধরে তিনি তার সিনেমায় কাজ করতে আসা নারী তারকাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সঙ্গে জবরদস্তি করে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বলে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। । কী প্রতিক্রিয়া আসছে? এদিকে একটা যৌথ চিঠিতে অভিনেত্রী অ্যাশলে জুড, লুসিয়া ইভান্স এবং রোসানা আরকুয়েট এবং আরো ১৯জন নারী যারা নিপীড়িত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন, তারা বলেছেন "এটা হতাশাজনক যে আজকের রায় সত্যকে বের করে আনতে পারেনি। পূর্ণ ন্যায়বিচার যেটা অনেক নারীর প্রাপ্য"। তবে যেসব নারী সামনে এসেছে এবং হার্ভি ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিবিসি নিউজ আওয়ার প্রোগামে অভিনেত্রী ম্যাকগুয়েন বলেছেন "যখন আমি আঘাত পেয়েছিলাম তখন আমি একটা বাচ্চা মেয়ে ছিলাম। এটা একটা ভালো দিন। আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে"। হার্ভি ওয়েইনস্টেইনের প্রধান আইনজীবী ডোনা রোটুননো সাংবাদিকদের বলেছেন আদালতের বাইরে বলেছেন "লড়াইটা শেষ হয়ে যায়নি। হার্ভি অবিশ্বাস্যভাবে শক্ত। তিনি এটাকে একটা পুরুষের মত গ্রহণ করেছেন। তিনি জানেন আমরা তার জন্য লড়ে যাবো এবং তিনি এটাও জানেন এটাই শেষ না"। তিনি বলেন তার মক্কেল (হার্ভি) হতাশ হয়েছেন কিন্তু "মানসিকভাবে শক্তিশালী আছেন" এর পর কী হবে? •উইনস্টেন আইনজীবী বলেছেন তারা রায়ের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আপিল করবেন •কাউন্টি ডিসট্রিক অ্যাটর্নি জানাচ্ছেন লস এঞ্জেলসে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরো মামলা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। •২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আইনজীবীরা বলেন তারা কিছু অভিযোগকারীর সাথে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে সমর্থ হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পাপিয়াকে ঘিরে বিতর্কে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি ভারত থেকে কী পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প দিল্লিতে তীব্র বিক্ষোভে পুলিশ কর্মকর্তা সহ নিহত ৩
মি টু: হলিউড প্রযোজক হার্ভি ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ'র ভাষ্য অনুযায়ী এই অস্ত্রের উৎক্ষেপন কিম জং-আন নিজে তদারকি করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানদের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের হোদো উপদ্বীপ থেকে চালানো হয় এই পরীক্ষা। গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ের এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রকে নতুন 'ট্যাকটিকাল গাইডেড ওয়েপন' বা কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর এই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করলো উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া 'পূর্ব উপকূলের হোদো উপদ্বীপের ওনসান শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একাধিক ছোট পরিসরের মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে' বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তারা জানায়, মিসাইলটি ৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার (৪৫ থেকে ১২৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে। এর আগেও বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য হোদো উপদ্বীপকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে গেলে শামীমা বেগমের মৃত্যুদণ্ড হবে' ফণী নিয়ে কতটা আতঙ্কের কারণ রয়েছে বাংলাদেশে দেহরক্ষীকে বিয়ে করে রানি বানালেন থাই রাজা উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ'র ভাষ্য অনুযায়ী এপ্রিল মাসে হওয়া এই কৌশলগতভাবে নির্দেশিত অস্ত্রের উৎক্ষেপন কিম জং-আন নিজে তদারকি করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষাতে 'বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিবিধ পদ্ধতিতে মিসাইল ছোঁড়ার' বিষয়টি যাচাই করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এই অস্ত্রটি ভূ-পৃষ্ঠ, সাগর এবং বায়ু, তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এই অস্থটি মিসাইল কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে, তবে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন যে এটি একটি ছোট পরিসরের অস্ত্র ছিল। গত বছর মি. কিম বলেছিলেন তারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না এবং আন্ত:মহাদেশীয় ব্যলিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি স্বত্তেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম চলছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসেও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গায় কাজ চলার আভাস পাওয়া গেছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করে তারা এত ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করেছে যা দীর্ঘ পরিসরের মিসাইল বা ব্যলিস্টিক মিসাইলে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সুবীর ভৌমিক, বিবিসি সিকিমে রাজা ও রানীর সাথে সত্যজিত রায়৻ (ছবি: সিকিম টাইমস্‌) প্রয়াত সত্যজিত রায়ের ছেলে সন্দীপ রায় সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন৻ উৎফুল্ল সন্দীপ রায় বলেন, তিনি আশা করছেন দ্রুত দর্শকরা তার বাবার তৈরী এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি দেখতে পাবেন৻ চলচ্চিত্রটি তৈরির সময়কার স্মৃতি হাতড়ে সন্দীপ রায় বলেন, শ্যুটিংয়ের সময় ক্যামেরা এবং জিনিসপত্র নিয়ে সিকিমে পাহাড়ে ওঠানামার কথা তার চোখের সামনে ভাসছে৻ সিকিমের ওপর তৈরি এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি শেষ হয়েছিলো ১৯৭৩ সালের দিকে৻ সিকিম সেসময় একটি স্বাধীন রাজতন্ত্র ছিলো৻ তাঁর দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে তৎকালীন রাজা পালডেন থনডুপ নামগিয়্যাল সত্যজিত রায়কে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন৻ সন্দীপ রায় জানান, রাজা নামগিয়্যালের আমেরিকান স্ত্রী হোপ কুকের সাথে তার বাবার বন্ধুত্ব ছিলো, এবং সেই সূত্রেই রাজার সাথে যোগাযোগ৻ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার পর সত্যজিত রায় যে দুটো প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন, ‘সিকিম‘ ছিলো তারই একটি৻ অন্যটি ছিলো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর৻ শট নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজা সিকিমের রাজা নামগিয়্যাল ও রানী কুক৻ (ছবি: সিকিম টাইমস্‌) সিকিম তৈরি হওয়ার পর এর একটি শট নিয়ে রাজা এবং তার আমেরিকান স্ত্রী তীব্র আপত্তি তুলেছিলেন৻ রাজধানী গ্যাংটকে রাজকীয় একটি ভোজসভার পর ফেলে দেয়া খাবার নিয়ে প্রাসাদের বাইরে দরিদ্র মানুষের কাড়াকাড়ির এক দৃশ্যে ক্ষুব্ধ রাজা শটটি বাদ দিতে বলেন সত্যজিত রায়কে৻ সন্দীপ রায় জানান, তার বাবা শটটি বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রটি চূড়ান্ত করার পরপরই সিকিমের রাজনৈতিক পট আমূল বদলে যায়৻ ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতের সাথে যুক্ত হয়৻ সেসময় যে কোন ধরণের বিতর্ক এড়াতে ভারত সরকার সত্যজিত রায়ের এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ করে৻ প্রায় চার দশক বাদে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর কবে কোথায় চলচ্চিত্রটি প্রথমবারের মত দেখা যাবে তা এখনো পরিস্কার নয়৻ ভারত সরকারের চলচ্চিত্র বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি দেখানোর চেষ্টা হতে পারে৻ জানা গেছে, সিকিমের একটি প্রিন্ট আমেরিকাতে এবং আরেকটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনিস্টিউটে রক্ষিত আছে৻
সত্যজিতের নিষিদ্ধ ছবি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ইয়াঙ্গন জুড়ে শুধু টিয়ার গ্যাসের গন্ধ। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন সম্প্রতি ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারসমূহ সীমান্ত পেরিয়ে তাদের ভূখণ্ডে এসেছেন। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ চিঠিতে দুই দেশের মধ্যকার 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের' খাতিরে ওই কর্মকর্তাদের ফেরত পাঠাতে বলেছে। গত মাসে সংঘটিত সামরিক অভুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংস বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট চলছে। প্রতিবাদ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী 'কঠোর অবস্থানে' যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। শনিবারও সামরিক জান্তার আদেশ অমান্য করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রপন্থীরা। মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ইয়াঙ্গনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। যদিও নতুন কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আরো পড়তে পারেন: বিবিসির সংবাদদাতার চোখে মিয়ানমারের তরুণদের বিক্ষোভ মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী আন্দোলনে প্রথম মৃত্যু মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে চিন্তিত নয় দিল্লি, কালাদান দ্রুত শেষ করাই লক্ষ্য কে এই জেনারেল মিন অং লাইং বিক্ষোভে নিহতের কফিন আঁকড়ে ধরে কাঁদছেন তার স্বজন। চিঠিতে কী বলছে মিয়ানমার ভারতীয় রাজ্য মিজোরামের চাম্পাই জেলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মারিয়া সিটি জুয়ালি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মিয়ানমারের ফালাম জেলা পুলিশের কাছ থেকে তাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আটজন পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে মিয়ানমারের কাছে তথ্য রয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, "দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সমুন্নত রাখার স্বার্থে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করা আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।" মিস জুয়ালি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে, এবং দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তিনি। রয়টার্স বলছে, পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৩০ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের করাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবারও মিয়ানমারের বহু নাগরিক ভারতে ঢোকার জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন। তালি দিয়ে, গান গেয়ে প্রতিবাদ করছেন মানুষ। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির নেতা অং সান সুচিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে দেশটিতে সামরিক শাসন অবসানের দাবিতে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুতে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের প্রতি কিছুটা নমনীয়ভাব দেখালেও, গত কয়েক সপ্তাহে কঠোর দমনপীড়ন শুরু হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ৫৫ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই তরুণ। দেশটির মানুষ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, রাতভর সেনা অভিযান, অবৈধভাবে গ্রেফতার, বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় ধাওয়া ও মারধর করা, ফাঁকা গুলি ছোঁড়া বা দূর থেকে মাথা বা বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন।
মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: ভারতে পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চান বর্মী কর্তৃপক্ষ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চলে চীনা সৈন্যদের প্রহরা প্রথম ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ''সার্জিকাল স্ট্রাইক'' আর দ্বিতীয়টি যেদিন চীনা ফৌজ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা আর পাংগং হ্রদের ধারে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করেছিল। দুটি দিনের তুলনা টেনে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম লিখছে, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার গোটা সরকার বালাকোট হামলার দিন উচ্চকিত হয়ে উঠেছিলেন, কিন্তু তারা চীনা বাহিনীর অগ্রসর হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন চুপ করে থেকেছেন। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের বিদেশ নীতি নিয়েই। কারণ যে সময়ে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হলেন সেই সময়েই বুধবার নেপালের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেদেশের নতুন ম্যাপ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হলো - যাতে ভারতের কিছুটা অংশও রয়েছে বলে নতুন দিল্লির অভিযোগ। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চীনের সঙ্গেও মতবিরোধ ছিলই। কিন্তু নেপালের মতো ভারতের বন্ধু রাষ্ট্রও এখন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারত-নেপালের কালাপানি বিরোধ কি চীনের উস্কানিতেই বিতর্কিত ভূখণ্ড মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপালের সংবিধান সংশোধন হিমালয়ে নতুন রাস্তাকে কেন্দ্র করে ভারত ও নেপালের মধ্যে সংঘাত বিতর্কিত লিপুলেখে ভারতের রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে কাঠমান্ডুতে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হচ্ছে, ১১ই মে ২০২০ এর আগে বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সংখ্যালঘুদের নিজেদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নতুন আইন করেছিল ভারত। যদিও ওই আইন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বারেবারেই বলেছে যে আইনটি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। এই ঘটনাগুলি থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন গত কয়েক বছর ধরে নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে? দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অশ্বিনী রায় বলছিলেন, এই অঞ্চলের প্রতিটা দেশই বোঝে যে চীন-ভারত সম্পর্কের ওপরেই নির্ভর করছে তারা নিজেরা কতটা স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবে। ''নেপাল এই সুযোগটা আগে থেকেই নিয়েছে। এখন আরও বেশি করে সুযোগের সদ্বব্যবহার করছে," তিনি বলেন। তিনি বলছিলেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক ভারতের থেকে অনেক উন্নত। ''তারা বেশ আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই এই অঞ্চলে কাজ করে, তারই ফলশ্রুতি এখন দেখা যাচ্ছে নানা দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে। আমরা প্রকৃত অর্থেই নিজেদের জমি হারাচ্ছি," মি. রায় বলেন। ভারতে গত কদিন ধরে ব্যাপক চীন বিরোধী বিক্ষোভ চলছে - চীনের পতাকা পোড়ানো হচ্ছে - চীনা পণ্য বয়কট করার আহ্বান দেওয়া হচ্ছে। নেপালের সঙ্গে বিবাদ যখন এরকম একটা চীন বিরোধী মনোভাব ভারতের সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই সময়েই আরেক প্রতিবেশী নেপাল তাদের দেশের নতুন মানচিত্র পার্লামেন্টে পাশ করিয়ে নিয়েছে - যাতে ভারতের কিছুটা অংশও রয়েছে বলে নতুন দিল্লির অভিযোগ। নেপালের মতে, নতুন মানচিত্রর ভিত্তি হচ্ছে ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি। কিন্তু ভারত সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে আসছে। মে মাসের মাঝামাঝিতে বিতর্কিত ভূখণ্ড কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেপালের সরকার। অথচ ভারতের সব থেকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে মনে করা হয় যাদের, তাদের মধ্যে নেপাল অন্যতম। কিন্তু তারাও ভারতের সঙ্গে একটা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। "ভারত উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তবে চীন অনেক বেশি আগ্রাসী,'' বলছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কাকলি সেনগুপ্ত। ''যদি নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের ঘটনাটা দেখি, সেখানেও চীনের প্রভাব কাজ করে থাকতে পারে,'' তিনি বলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতকে নিয়ে কেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে চীন চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্‌ দেশ কার পক্ষ নেবে চীন-ভারত সংঘর্ষে পেরেক যুক্ত রড ব্যবহার করা হয়েছে? দিল্লিতে কট্টর ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের চীন-বিরোধী বিক্ষোভ। বিশ্লেষকরা যেমন একদিকে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলছেন, তেমনই ভারতের অভ্যন্তরীন রাজনীতিকেও দোষ দিচ্ছেন নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির জন্য। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি ঘোষ বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বিদেশ নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর খুব একটা বক্তব্য বা দূরদৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। ''তিনি ২০১৪-র আগে বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, কিন্তু সে সবই ছিল তার সংগঠনের প্রচারের জন্য, হিন্দুত্ববাদের প্রচারের জন্য," তিনি বলেন। তিনি আরও বলছেন যে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও মি. মোদী বিদেশ নীতি সংক্রান্ত যা করেছেন, তারও বেশীরভাগটাই প্রচারসর্বস্ব। "তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সব সার্ক দেশগুলির প্রধানদের আহ্বান জানালেন, নওয়াজ শরিফও এলেন। কিন্তু কাজের কথা কিছু এগুলো না। ''তার পর থেকে তিনি যতবারই বিদেশ সফরে গেছেন, সেগুলো যত না সেই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার জন্য, তার থেকে বেশি নিজের দেশের মানুষের কাছে প্রচারের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল বলেই আমার মনে হয়," বলছিলেন মি. ঘোষ। এই সরকারের আমলেই বিশ্বের নানা রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বহু বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল সহ পৃথিবীর নানা দেশে গেছেন - আলোচনা হয়েছে, চুক্তি হয়েছে। মি. মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চীন সফর করেছেন পাঁচবার এবং ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনা নেতার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তার বৈঠক হয়েছে অন্তত ১৮বার। কিন্তু নিকটতম প্রতিবেশিদের কাছে কি ভারতের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে - দেশের ভেতরে উগ্র জাতীয়বাদী মনোভাব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যান লাহিড়ীর কথায়, "যেসব আইন নানা সময়ে ভারতে পাশ করা হচ্ছে, সেগুলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ভালভাবে নিচ্ছে না। আজকে বিশ্বায়নের যুগে উগ্র জাতীয়তাবাদ কিন্তু কখনই কাম্য নয়। ''আর ভারতের কাছে প্রতিবেশীরা এটা আশাও করে না। ভারত একটা সময়ে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে ছিল, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে - সেরকম একটা দেশের কাছে প্রতিবেশীরা এধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদী আইন আশা করে না," বলেন ইমন কল্যান লাহিড়ী। অনেক বিশ্লেষক বলছেন প্রতিটা দেশের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা চালাতে হবে ভারতকে। আর ভারতের সাধারণ মানুষ আর রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ যে 'যুদ্ধং দেহি' মনোভাব নিয়ে চলতে শুরু করেছেন, ভারতকে সেই সামরিক সমাধানের পথে না হেঁটে কাজে লাগাতে হবে কূটনীতিকে।
ভারত-চীন সীমান্ত বিতর্ক: শুধু বেইজিং না, অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গেও দিল্লির সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা স্টেশনের কাছে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় এরকম হাজার হাজার শ্রমিকের জমায়েতকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছে। গুজরাটের সুরাটেও অভিবাসী শ্রমিকদের বিক্ষোভ সহিংস আকার নিয়েছে। বিজেপি যদিও দাবি করছে, এই সব বিক্ষোভের পেছনে কোনও কোনও মহলের উসকানি বা ষড়যন্ত্র আছে – অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন এই শ্রমিকদের এখনই নিরাপদে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা না-করলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। বস্তুত মুম্বাইয়ের শহরতলি বান্দ্রায় মঙ্গলবার বিকেলে যেভাবে সেখানে কর্মরত ভিন রাজ্যের হাজার হাজার শ্রমিক একটি রেল স্টেশনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা সরকারের জন্য অবশ্যই একটা বড় অশনি সংকেত। প্রথম দফার লকডাউন মিটলেই সরকার তাদের গাঁয়ে ফেরানোর জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করবে – এই গুজব শুনেই তারা দলে দলে স্টেশনে এসে জড়ো হন, বিবিসিকে বলছিলেন মুম্বাইয়ের ট্যাক্সিচালক ও বান্দ্রারই বাসিন্দা গোপাল চৌধুরী। মি চৌধুরীর কথায়, "এরা প্রায় সবাই ছিলেন উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের লোক। তারা সবাই কোত্থেকে উড়ো খবর শুনেছিলেন তাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য না কি ট্রেনের ব্যবস্থা হচ্ছে।" "সেই জন্যই বান্দ্রায় হঠাৎ অত ভিড় হয়েছিল। তাদের মুখে ছিল একটাই কথা – বাড়ি গেলে অন্তত দুটো তো খেতে পাব, এখানে তো না-খেতে পেয়ে মরার দশা!" ভারতের কোনও কোনও শহরে নানা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অভিবাসী শ্রমিকদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে "আর মুম্বাইতে সরকার যে চাল-ডালের ব্যবস্থা করেছে তা কিন্তু লোকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছচ্ছে না। যারা এগুলো বিলিবন্টনের দায়িত্বে, তারাই এর অর্ধেক সরিয়ে ফেলছেন!", জানাচ্ছেন গোপাল চৌধুরী। মুম্বাইয়ের অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের সঙ্গে এই সঙ্কটে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট কবিতা কৃষ্ণন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এরা কিন্তু শুধু করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ক্যারিয়ার নন, এখানে মানবিক দিকটাও দেখতে হবে – এরা এমন কিছু অসহায় মানুষ যারা পরিবারের কাছে ফিরতে মরিয়া।" "শহরে তারা শখ করে আসেননি, আর শহরে যখন কোনও রোজগার নেই তখন তাদের এক মুহুর্তও সেখানে থাকা বিলাসিতা।" অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে, শনাক্ত আরো ২১৯ জন বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু ফেসবুকে লাইভে দর্শকদের সামনে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক হটলাইনে সাহায্যপ্রার্থীকে পেটানোর অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে "সেখানে দিনের পর দিন – লকডাউন থেকে কোনও এক্সিট স্ট্র্যাটেজিরও আভাস নেই, এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না।" তবে বান্দ্রায় জড়ো হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই যেহেতু ছিলেন মুসলিম, তাই অনেকে এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণও খুঁজে পাচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনভিস তো যুক্তি দিচ্ছেন – এই বিক্ষোভ কিছুতেই স্বত:স্ফূর্ত হতে পারে না। তিনি বলছেন, "এই শ্রমিকরা যে স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন সেখান থেকে দূরপাল্লার কোনও গাড়ি ছাড়ে না – আর এত বছর মুম্বাইতে থাকার সুবাদে সেটা তারা নিশ্চয় খুব ভাল করে জানেন।" "তা ছাড়া ছবিগুলো ভাল করে খেয়াল করুন, তাদের কারও সঙ্গে কোনও ব্যাগ পর্যন্ত নেই – অথচ তারা না কি বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়েছেন।" "হঠাৎ করে এত লোক জড়ো হয়ে গেল, পুলিশ কিছু টেরও পেল না – এটাও তো খুবই আশ্চর্যের!" রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী কবিতা কৃষ্ণন তবে উসকানি বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ যে ঢাকা দেওয়া যাবে না, সরকারও তা উপলব্ধি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ সার্কুলার জারি করে গ্রামীণ এলাকার বহু শিল্পকে যে আজ লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেটাও অনেকটা সে কারণেই। কবিতা কৃষ্ণন মনে করেন, এখন ফসল কাটার মৌশুমে গ্রামে ফিরতে পারলে শ্রমিকরা কাজ পাবেন – ফলে তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করাটা খুব জরুরি। তার কথায়, "এই শ্রমিকরা বিশ্বাস করেন গ্রামে ফিরতে পারলে একটা সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ককে তারা খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে পারবেন।" "অন্তত চেনা লোকজন পাবেন, নিজের ভাষায় কথা বলা মানুষদের পাবেন, ক্ষেতে হয়তো কাজও জুটে যেতে পারে – শহরে তো তার কোনওটাই এই মুহুর্তে মিলছে না!" এই লকডাউনের মধ্যেও গুজরাট সরকার হরিদ্বারে আটকে পড়া তাদের রাজ্যের পর্যটকদের লাক্সারি বাসে করে ফিরিয়ে এনেছে। ভারতে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, সেটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পরীক্ষা করে এই শ্রমিকদেরও বিশেষ ট্রেন বা বাসে করে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।
করোনাভাইরাস : ভারতে অভিবাসী শ্রমিকরা যে কোনওভাবে ঘরে ফিরতে মরিয়া, মুম্বাই ও সুরাটে প্রবল বিক্ষোভ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয় তারাবিহর নামাজও সীমিত পরিসরে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়, তারাবিহর নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ এবং খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লির অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও মহামারি পরিস্থিতিতে এবার সাধারণ মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজনও করা হচ্ছে না। বায়তুল মোকাররমের একজন খতিব জানিয়েছেন, তারা রমজান শুরুর অনেক আগেই তারাবিহসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কারণ তারাবিহর নামাজের সব চেয়ে বড় জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররমে তারাবিহর নামাজ এবং রমযান উপলক্ষে প্রতিদিন দুপুরে ও বিকেলে ধর্মীয় আলোচনা সীমিত পরিসরে করতে হচ্ছে। পারিবারিক উদ্যোগে এই মসজিদ ষাট বছরেরও বেশি সময় আগে একটি পরিবারের উদ্যোগে প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর নির্মিত এই মসজিদ বাংলাদেশের মুসলিমদের কাছে মর্যাদার স্থান হয়ে উঠেছে। মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে মক্কার কাবা ঘরের আদলে চারকোনা আকৃতির। পুরোনো এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টন এলাকায় এই মসজিদে একসঙ্গে চল্লিশ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। দেশের বৃহত্তম এই মসজিদের ইতিহাস এবং গুরুত্ব নিয়ে অনেক বইও প্রকাশ করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজের দৃশ্য বায়তুল মোকাররম নির্মাণের উদ্যোগ পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বড় শিল্প উদ্যোক্তা বাওয়ানি পরিবারের পক্ষ থেকে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। বাওয়ানি জুট মিলসের মালিক উর্দূভাষী আব্দুল লতিফ বাওয়ানি এবং তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি 'বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি' গঠন করে মসজিদটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন ১৯৫৯ সালে। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ-এ বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালের ২৭শে জানুয়ারি আব্দুল লতিফ বাওয়ানি মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর দুই বছর পর ১৯৬২ সালে মসজিদ নির্মাণের কাজ মোটামুটি শেষ হয়। তবে পুরো কাজ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে। মসজিদটির নকশা করেছেন পাকিস্তানের সিন্ধুর একজন স্থপতি এ এইচ থারানি। মসজিদের জায়গা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এই মসজিদের ইতিহাস নিয়েই একটি বই প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেই ষাটের দশকের শুরুতে এই জায়গা অধিগ্রহণ করার পর যখন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়, তখন সেখানে একটি বড় পুকুরও ছিল। সেটা পল্টন পুকুর নামে পরিচিত ছিল। পুকুরটি ভরাট করার পর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল। বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের দৃশ্য যে কারণে পল্টনে এই মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ নির্মিত হয়েছে পুরোনো ঢাকা এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থলে। ইসলাম নিয়ে লেখক ওসমান গণি বলেছেন, এই মসজিদ নির্মাণের অনেক আগে থেকেই নতুন ঢাকার সীমানা বাড়তে থাকে। ফলে পুরোনো ও নতুন- দুই ঢাকার মানুষের কথা এই জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বিবেচনার বিষয় ছিল বলে তিনি মনে করেন। ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররমের ঐ জায়গাটিকে তখন নগরীর কেন্দ্রস্থল হিসাবেও বিবেচনা করা হয়েছিল। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এমন ধারণা করেন। মসজিদের ভিতরে যা আছে বায়তুল মোকাররম মসজিদটি প্রথমে ত্রিশ হাজার মানুষের নামাজ আদায়ের সুযোগ রেখে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে এর সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর ফলে একসঙ্গে ৪০,০০০ মানুষের নামাজ আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মসজিদের মূল ভবনটি আটতলা, যা মাটি থেকে ৯৯ ফুট উঁচু। আটতলা এই মসজিদের নিচতলায় মার্কেট এবং গুদাম ঘর রয়েছে। বিরাট এই মসজিদটিতে আয়োজিত জুম্মা কিংবা ঈদের নামাজে এত ভিড় হয় যে বহু মানুষকে বাইরেও নামাজ পড়তে হয় দোতলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ পড়া হয়। আর খতিব বা ইমাম নামাজ পড়ান দোতলা থেকে। তিনতলার উত্তরপাশে নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। সেখানে একসঙ্গে ১৫০০ নারী নামাজ পড়তে পারেন। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক থেকে মসজিদে প্রবেশ করা যায়। বায়তুল মোকাররমের খতিব মিজানুর রহমান বলেছেন, শুক্রবারে জুম্মার নামাজে এই মসজিদে উপচে পড়া ভিড় হয়। আর প্রতি ঈদে পাঁচটি করে জামাত হয় এবং প্রতি জামাতেই থাকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণ। তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকও আসেন বায়তুল মোকাররম মসজিদ দেখার জন্য। বায়তুল মোকাররম মসজিদের নকশা বা স্থাপত্য শৈলীর মাঝে ভিন্ন ধরণের আকর্ষণ রয়েছে। প্রথম রোজা থেকেই করা হয় ইফতারের আয়োজন। সরকারের ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এই ইফতার আয়োজনের অর্থায়ন করে। বায়তুল মোকাররম মসজিদে সিনিয়র খতিব মিজানুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়। ধনী, গরিব-সব শ্রেনির মানুষ এক সাথে বসে ইফতার করে থাকেন। নারী কোরআন তেলাওয়াতকারীরা 'ইসলামিক ধারারই অংশ' কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বারের মতো এবারও ইফতারের আয়োজনা বন্ধ রাখা হয়েছে। শেষ দশ রোজায় শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজের জামাতের আয়োজনও করা হয়। খতিব মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তাহাজ্জুদের নামাজেও অনেক মুসল্লি অংশ নেন। এগুলো সবই গত বছর থেকে সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে মহামারির কারণে। প্রতি ঈদে কয়েকটি জামাতে বায়তুল মোকাররমে লাখো মানুষ নামাজ পড়েন। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: ইরান ও ইসরায়েলের ছায়া যুদ্ধ বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে 'রোজা থাকার সময়েও টিকা নিতে পারবেন মুসলমানরা' স্বাধীনতার ৫০ বছর: ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী যে বৈষম্যের কারণে বাঙালিরা পাকিস্তান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কোরানের ২৬টি আয়াত নিষিদ্ধের দাবি খারিজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে
বায়তুল মোকাররম: পারিবারিক উদ্যোগে তৈরি হয়ে যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ হয়ে উঠলো
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইজতেমার আখেরী মোনাজাতের দিন অংশ নেন কয়েক লক্ষ মানুষ (এটি পুরনো ছবি)। গত প্রায় ৫০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই ইজতেমায় অংশ নিয়ে আসছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি। কিন্তু এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিস্থিতি ভিন্ন। মাওলানা সা'দ কান্দালভী'র অংশ নেয়া নিয়ে বিভক্ত হওয়ার পর দু'পক্ষ আলাদা করে যে ইজতেমার আয়োজন করেছে তাতে বিদেশিরা তেমন যোগ দেননি। সা'দ বিরোধী পক্ষের মাওলানা ওমর ফারুক বলছেন, এবারের ইজতেমায় অংশ নিয়ে ৭/৮শ বিদেশি। অন্যদিকে সাদ সমর্থক পক্ষের রেজা য়ারিফ বলছেন, বিদেশিদের সংখ্যা সর্বোচ্চ সাড়ে ছয়শ ছিলো এবারের ইজতেমায়। 'মুসলিম বিশ্বে নেতিবাচক বার্তা' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলছেন, দু'পক্ষ যাই বলুক যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা মুসলিম বিশ্বে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে ইজতেমাকে ঘিরে মারামারি হওয়ার কারণেই বিদেশিদের অনেকেই এবার আসতে আগ্রহী হননি বলে মনে করেন তিনি। সৌদি আরবে হজের পর বাংলাদেশের এই বিশ্ব ইজতেমার পরিচিত গড়ে উঠেছিলো মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যেভাবে বাংলাদেশে স্থায়ী তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব বিশ্বের জন্য কত বড় হুমকি? গ্রামীণফোনের ওপর বিজ্ঞাপন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কেন? তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস ভারতে এর গোড়াপত্তন করলেও পরবর্তী কালে তা উপমহাদেশের বাইরে আসে এবং বাংলাদেশে এর সূত্রপাত হয় ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে। বাংলাদেশে প্রথম তাবলীগের জামাত নিয়ে আসেন তাবলীগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ। ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশে ঢাকার কাকরাইলে এ সম্মেলন হয়। পরে ১৯৬৬ সালে টঙ্গীতে স্থানান্তর হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুরুতে এটি বার্ষিক সম্মেলন হিসেবে চললেও পরে কালক্রমে যখন বিদেশ থেকে লোকজন আসা শুরু করলো তখন থেকে এটি বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিত পেতে শুরু করে। অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলছেন, এবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে কারণেই বিদেশি অতিথিরা আসেননি এবং এটি এতদিনের যে ইমেজ তৈরি হয়েছিলো তাতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। "সা'দ কান্দালভীর কারণেই বিশ্বের কাছে পরিচিত তাবলীগ জামাত। তাকে নিয়েই যেহেতু প্রশ্ন উঠেছিলো সেটা অনেক বিদেশি মেনে নিতে পারেনি।" তিনি বলেন, "কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক ও সাধারণ তাবলীগ—ধর্মের নামে এ বিভক্তি ছিলো দু:খজনক"। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, এবার যে মেরুকরণ হয়েছে তার জের ধরে মারামারি পর্যন্ত দেখেছে সবাই। "সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। নিশ্চয়ই আমাদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ আয়োজন করে একটু অন্য ভাবে উপস্থাপিত হচ্ছিলো।" মি. রশিদ আরো বলেন, ৩০/৪০ দেশের মানুষ এখানে একাকার হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতো। সেখানেই বিভক্তি তৈরি করা হলো। "এটাই মুসলিম বিশ্বে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। আশা করি এ বিভক্তি সামনে থাকবেনা।" আর ইজতেমার এবার যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তার জের ধরে যে বিদেশিরা আসেননি - সেটা স্বীকার করছে বিবদমান দু'পক্ষই। সা'দ কান্দালভীর অনুপস্থিতি বড় কারণ: সা'দ সমর্থক পক্ষ সা'দ কান্দালভীর অনুসারীদের পক্ষের বিদেশি কমিউনিকেশনস বিভাগের দায়িত্বে আছেন রেজা য়ারিফ। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বিদেশিরা এখানে আসতেন মূলত সা'দ কান্দালভীর কথা শুনতে ও নির্দেশনা নিতে। "সারা বিশ্বের আলেম মুরুব্বিরা এসে পরবর্তী বছরের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন ও নির্দেশনা নেন সা'দ সাহেবের কাছ থেকে। সে কারণেই এটি বিশ্ব ইজতেমা।" মি. য়ারিফ বলেন, "তারা আগের বছর কী করেছেন ও পরের বছর কী করবেন - তা নিয়ে নির্দেশনা দিতেন আমির। তিনি না আসায় বিদেশিরা আসতে উৎসাহিত হননি।" সা'দ সমর্থক এই নেতা আরো বলেন, গড়ে যেখানে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৮ হাজার বিদেশি মুসল্লি আসতেন এবার সেখানে সর্বোচ্চ ছিলো সাড়ে ছয়'শ জন। "সাদ সাহেবের না আসা ও বিদেশিদের না থাকার বিষয়টি বিশ্ব ইজতেমার জৌলুস কমিয়ে দিলো। এবছর এটি জাতীয় ইজতেমায় পরিণত হলো।" তিনি আশা করেন, "আগামী বছর সা'দ কান্দালভী আসলে ১৫ থেকে ১৮ হাজার বিদেশি আসবেন"। তিনি বলেন তবলিগের কাজ হয় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থা সবাই জানেন। "এ দুটি দেশে সবার জন্য ভিসা পাওয়াও কঠিন ছিলো। বাংলাদেশ সরকারও সবসময় তাবলীগের বিষয়ে সহনশীল ছিলো।" এসব কারণে বাংলাদেশের দারুণ একটি ভাবমূর্তি আছে মুসলিম বিশ্বে -এমনটাই জানালেন তিনি। সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বকে কারণ মনে করছেন সা'দ বিরোধী পক্ষ সা'দ কান্দালভী বিরোধী পক্ষের মাওলানা ওমর ফারুক অবশ্য মনে করেন বিদেশিদের না আসার কারণ ভিন্ন। "এবার মাত্র দশদিন আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপর সার্কুলার দেয়ার পর বিদেশিরা সময় পেয়েছে মাত্র ৪/৫ দিন। আর শীতের এ সময়টাতে হঠাৎ করে বিমান টিকেট পাওয়াও কঠিন হয়ে যায়।" ইজতেমার সময় এমন দৃশ্য প্রতিবছর দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়া গত পহেলা ডিসেম্বর যে মারামারি হয়েছে তাতেও বিদেশিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। "বিশ্ব ইজতেমা আসলে তাবলীগ জমায়েত। তারপরেও এর যে পরিচিত হয়ে আসছিলো তাতে প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই।" "আমরা সরকারকেও বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে দেরি হয়ে গেলে ক্ষতি হবে। কিন্তু সরকারেরও হয়তো কিছু করার ছিলোনা। কারণ নির্বাচনের পর সতর্ক থাকতে হয়েছে," বলেন মি. ফারুক। তিনি বলেন, তাবলীগ জামায়াতে পাসপোর্ট গুনে বিদেশির সংখ্যা জানা যায়না। কারণ অনেকেই পর্যটক হিসেবে আসেন। "তবে বিদেশিদের খানাদানার যে আয়োজন হয় সেখান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার বিদেশি এসেছেন ৭/৮শ"। তাবলীগ সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে প্রায় ত্রিশ হাজার এবং ২০১৮ সালে ২২/২৩ হাজার বিদেশি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছিলেন। অধ্যাপক আব্দুর রশীদ বলছেন, বিভক্তি দূর করা গেলে ও রাজনৈতিক বিবেচনা না দেখলে নিরেট সাধারণ মুসল্লিদের ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা হলে এটি বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বর্তমান রূপ পেলো যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা
বিশ্ব ইজতেমা: বিদেশি অতিথিদের অভাবে আন্তর্জাতিক তকমা হারাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জমায়েত?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
দ্য বিবিসি ইন্ডিয়ান স্পোর্টসওম্যান অফ দ্য ইয়ার এর জন্য পাঁচজনকে মনোনয়ন করা হয়েছে। আশাবাদী ভারতীয় অ্যাথলিটরা মেডাল জয়ের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরে তাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকস থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি মেডাল জিতেছে, যার মধ্যে ৫টি পেয়েছে নারী প্রতিযোগীরা। অন্যদিকে, সিডনি অলিম্পিকসের আগে ভারত যে ১৩টি মেডাল জিতেছিল, তার সবগুলোই পেয়েছিল পুরুষরা। সিডনির আগে ও পরের এই পার্থক্য প্রমাণ করে ভারতের ক্রীড়া জগত একটি বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে। এখন প্রথমবারের মত বিবিসি, ভারতের নারী ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি দেবার লক্ষ্যে 'দ্য বিবিসি ইন্ডিয়ান স্পোর্টসওম্যান অফ দ্য ইয়ার' পুরস্কার ঘোষণা করেছে। (বর্ষসেরা ভারতীয় নারী ক্রীড়াবিদ নির্বাচনে ভোট দিতে চাইলেএই লিঙ্কেক্লিক করুন) ভারতীয় নারী ক্রীড়াবিদদের অসাধারণ অবদানকে এবং ভারতীয় ক্রীড়া জগতে নারীদের অর্জনকে সম্মানিত করার লক্ষ্যে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। চার বছর আগে রিও অলিম্পিকসে, কুস্তিগির সাকশি মালিক এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পি ভি সিন্ধু ভারতের পক্ষে দুটি মেডাল জয় করেন। অলিম্পিক কুস্তিতে মালিক প্রথম ভারতীয় নারী যিনি কোন মেডাল জয় করেন। অন্যদিকে, জিমনাস্ট দীপা কর্মকার যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ প্রতিভা সিমোন বাইলসের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে ভল্ট প্রতিযোগিতায় মেডাল জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। নারী প্রতিযোগীদের জন্য না হলে, ভারতের অ্যাথলিটরা ১৯৯২ সালের অলিম্পিকসের পর প্রথমবারের মত খালি হাতে দেশে ফিরতেন। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের অলিম্পিকসে, ভারতের ছয়টি মেডালের মধ্যে দুটি জয় করেন নারীরা, যার মধ্যে ছিল অলিম্পিকস মুষ্টিযুদ্ধে কোন ভারতীয় নারীর প্রথম মেডাল। বক্সার মেরি কোম পেয়েছিলেন সেই মেডাল। লন্ডন অলিম্পিকসে অন্যান্য অর্জনের মধ্যে ছিল ব্যাডমিন্টনে সাইনা নেওয়াল-এর মেডাল, যা ছিল অলিম্পিক ব্যাডমিন্টনে যে কোন ভারতীয় প্রতিযোগীর প্রথম মেডাল। এশিয়ান গেমসে সাফল্য অলিম্পিকস-এর বাইরে, ২০১৯ সালে ক্রিকেটার হামানপ্রিত কর প্রথম ভারতীয় (নারী বা পুরুষ) হিসেবে ১০০টি টি২০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক অতিক্রম করেন। একই সাথে, ক্যাপ্টেন হিসেবে (নারী বা পুরুষ) ভারতকে দুটো ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে যাবার কৃতিত্ব অর্জন করেন মিথালি রাজ। দু'বছর আগে ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে, ভারতের মোট ৫৭টি মেডালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক (২৮) জয় করেন নারী অ্যাথলিটরা। তাদের পরিশ্রম এবং অর্জন ভারতের ক্রীড়া জগতে নারীদের ক্রমবর্ধমান অবদান জনসমক্ষে তুলে আনতে সাহায্য করছে। তবে তাদের সাফল্য ঘিরে আলোচনা পুরুষদের নিয়ে আলোচনার অনেক নিচেই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণ, যেমন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, অবকাঠামোর অভাব, সামাজিক কুসংস্কার ইত্যাদি এই ভারসাম্যহীনতা তৈরির জন্য দায়ী। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, ভারতীয় নারীরা কুস্তি এবং বক্সিং এর মত ক্রীড়ায়, যেগুলোকে অতীতে পুরুষ-কেন্দ্রিক বলা হত, নিজেদের স্থান করে নিতে পেরেছেন। উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্য, যেখানে প্রতি ১০০০ ছেলের বিপরীতে মাত্র ৯২৪জন মেয়ে আছে, লিঙ্গ অসমতার জন্য পরিচিত। কিন্তু এই ক্ষুদ্র রাজ্য থেকে কয়েকজন নারী অলিম্পিয়ান তৈরি হয়েছে। এই সবের মানে হচ্ছে, ভারতীয় নারী অ্যাথলিটদের জন্য খেলা বদলে যাচ্ছে, যে গল্প বলা এবং তা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। কেন এই পুরস্কার? টোকিও ২০২০ অলিম্পিকসের আগে নারী এবং তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে বিবিসির যে উদ্যোগ, দ্য বিবিসি ইন্ডিয়ান স্পোর্টসওম্যান অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার তারই অংশ। বিজয়ী কীভাবে নির্বাচন করা হবে? বিবিসি মনোনীত এক জুরি প্যানেল ভারতীয় স্পোর্টসওম্যানদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই জুরি প্যানেলে আছেন ভারতের সুপরিচিত ক্রীড়া সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ এবং লেখক। যে পাঁচজন স্পোর্টসওম্যান এই জুরি প্যানেল থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তাদেরকে মনোনয়ন করা হয় চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য, যেখানে জনগণ অনলাইনে ভোট দিতে পারবেন। (বর্ষসেরা ভারতীয় নারী ক্রীড়াবিদ নির্বাচনে ভোট দিতে চাইলেএই লিঙ্কেক্লিক করুন)
স্পোর্টসওম্যান অফ দ্য ইয়ার: বর্ষসেরা ভারতীয় নারী ক্রীড়াবিদ খুঁজছে বিবিসি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সিডরের আঘাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, আরো হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারান আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হেনেছিল এক ভয়াবহ সাইক্লোন 'সিডর'। সেই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, আরো হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারান এই ঝড়ে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ও ঝালকাঠি- এ চারটি জেলায়। সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছিল বাগেরহাটের সাউথখালি ও শরণখোলায়। সাউথখালি গাবতলা গ্রামের লাইলি বেগম সেদিনের স্মৃতিচারণ করেছেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে। লাইলি বেগমের স্বামী আশরাফুল আলম খান, রেডক্রস কর্মী ছিলেন। তিনি সেসময় তাঁর গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খুলে দিলেও ছোট মেয়ে ও নিজেকে আর প্রাণে বাঁচাতে পারেননি। "পানি আসার পর আমার বড় মেয়েকে আমি হাতে ধরছি। পানি এসে ভাসায়ে নিয়ে গেল বাড়ি। সে পানির নীচে পড়ে গেছিল। সেদিনের পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। মনে হলেই ভয় লাগে"। "আমি আর আমার বড় মেয়ে নারিকেল গাছ ধরে বাঁচছি। সাইক্লোনে আমার ছোট মেয়ে, স্বামী ও জা-আমার পরিবারের এই তিনজনকে নিয়ে গেছে।"-কান্নাজড়ানো কন্ঠে সেদিনের কথা বলছিলেন লাইলি। ঘূর্ণিঝড়ে সব ভেঙে যাবার পর আবার নতুন করে বাড়ি বানানোর চেষ্টা করছে এক পরিবার। রেডক্রস কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি? লাইলি বেগম বলছিলেন সে সময়টা তাঁরা পাননি। "গ্রামে মাইকিং করে সে ঘরে আইসা নামাজ পড়ছে। নদীর কাছে পানি কতদূর দেখে আসলো। এরপর সাইক্লোনে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খুলে দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। আমার ভাসুর আইসা বলছে -চল সাইক্লোন কেন্দ্রে যাই। সে তখন বলছে হক ভাই কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না, দেখি কতদূর কী হয়। এটা বলার চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে পানি আইসা ভাসায়ে দিলো। আমরা যে কোথাও যাবো সে পরিস্থিতি ছিল না।" "আমার ছোট মেয়ে পানি দেইখা তার কোলে উঠে গলায় ধরে বলছে -আব্বু তুমি আমারে ছাইড়া দিবা না। মেয়েকেও সে ধরছে। ওই যে পানির নীচে সে পড়ছে। শুক্রবার পাইনি।" "শনিবার যখন তার লাশ পাইছি তখন সে একইভাবে মেয়েরে গলায় জড়ায়ে ধরেই ছিল। ওই জীবনের কথা ভুলার মতো না।" "মেয়ের লাশ, স্বামীর লাশ যেভাবে দেখছি-ওই সময় দাফন করা-ওইটা ভুলার মতো না।" বরছিলেন লাইলি বেগম। এরপর বাবার বাড়িতে বড় মেয়েকে নিয়ে বাস করছেন লাইলি বেগম। মেয়েকে পড়াশুনা করাচ্ছেন। সাউথখালির সমস্ত ঘরবাড়ি ভেসে যায় সিডরের আঘাতে। পুরো এলাকাটাই পানিতে ভেসে গিয়েছিল। লাইলি বেগমের ভাষায় ওই এলাকা ছিল পুরোটাই 'সমুদ্রের মতোন'। এলাকার বাসিন্দারা এখন আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হয়েছে। থাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে কজনের। আর কিছু মানুষ এখনও নদীর পারে থাকছে কষ্ট করেই। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস কেন বাড়ছে? বড়ির সাথে সেন্সর, না খেলে ধরে ফেলবেন ডাক্তার আইএসকে পালাতে সাহায্য করেছে আমেরিকা-ব্রিটেন? ছোট বোনের কবরের সামনে গর্জনবুনিয়া গ্রামের শিশু রিপন। সিডরে চার বছর বয়সী বোনকে হারায় সে।
'যখন ওর লাশ পাইছি মেয়েরে গলায় জড়ায়ে ধরেই ছিল'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এশিয়া একাদশে পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী' উপলক্ষে ঢাকায় এশিয়া একাদশ ও বাকীদের নিয়ে গড়া বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ম্যাচ দুটিই আইসিসির অফিসিয়াল ম্যাচের স্বীকৃতি পাবে। তবে এ দুটি ম্যাচে এশিয়া একাদশে পাকিস্তানী কোনো খেলোয়াড় খেলবে কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস বা আইএএনএস ভারতীয় বোর্ড কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, এশিয়া একাদশে পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা থাকছেনা কারণ তাদের আমন্ত্রণই করা হয়নি। তাদের রিপোর্টে বিসিসিআই সেক্রেটারি জায়েশ জর্জ বলেছেন, "আমরা যতটুকু জানি এশিয়া একাদশে পাকিস্তানী কেউ থাকবেনা। তাই দু'দেশের (ভারত ও পাকিস্তান) একসাথে অংশ নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। সৌরভ গাঙ্গুলি পাঁচজন খেলোয়াড়কে বাছাই করবেন যারা এশিয়া একাদশের হয়ে খেলবে।" আইএএনএস এর এই রিপোর্ট দা স্ট্যাটসম্যান সহ অনেকগুলো ভারতীয় পত্রিকা বা বার্তা সংস্থা প্রকাশ করেছে। বিসিবি সভাপতি যা বললেন: বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বলছেন, তারা এমন কিছু বলেননি যে পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় থাকতে পারবে না। মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "এখানটায় যে জিনিসটা করা হবে যে অ্যাভেইলেবল যেসব খেলোয়াড় আছে তারাই। এটা হলো প্রথম কথা। আমরা এমন কিছু বলিনি যে পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় থাকতে পারবে না। এখানে আমরা কিছু বলিনি।" বিসিবি সভাপতি বলেন তারা সর্ব বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং তারা জবাব পাঠিয়েছে। "একটা হতে পারে যে যখন আমরা বাকি সব বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা একটা রেসপন্স পাঠিয়েছে। পাকিস্তান হলো একমাত্র দেশ যারা বলেছে যে তাদের পিএসএলের সঙ্গে তারিখটা ক্ল্যাশ (সাংঘর্ষিক) করছে। ওরা তারিখটা পরিবর্তন করতে বলেছিল আমাদেরকে।" তিনি বলেন তারা পাকিস্তানকে জানিয়েছেন যে তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব হবেনা। "কারণ ১৭ তারিখে (মার্চ) ওনার (শেখ মুজিবুর রহমানের) জন্মদিন এবং আমাদেরকে সরকার থেকেই সময় দেয়া হয়েছে ১৮ থেকে ২২ এর মধ্যে। কারণ সরকারের অন্যান্য অনুষ্ঠান তো আছে। তাই এর টাইম স্লটটাই এটা। এর বাইরে সরানোর কোনো উপায় নেই আমাদের। এরপর আর তারা কোনো রেসপন্স করেনি।" নাজমুল হাসান বলেন এটা হতে পারে যেহেতু ওদের পিএসএলের সঙ্গে বা অন্য কোনো টুর্নামেন্টের সঙ্গে ক্ল্যাশ করে দেখে আসতে পারবে না, এটা কারণ হতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কী বলছে? লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিসিবির সদর দপ্তর। বিবিসি উর্দু সার্ভিসকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্চে প্রস্তাবিত টি-টুয়েন্টি ম্যাচে তাদের খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারবেনা, কারণ সময়টি পিএসএল'র সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন ১৮ ও ২০শে মার্চ ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে যা পিএসএল'র মাঝামাঝিতে পড়বে। পিসিবি বলছে বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভার সময়েও আলোচনা হয়েছে এবং তখন পিসিবি বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর: ভিন্ন মত বিসিবি ও পিসিবির ক্রিকেট বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যর্থ বিপিএল? কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়র সাঈদ খোকন যা বললেন সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ধারণা পরিবর্তন করা জরুরি
ঢাকায় এশিয়া বনাম বিশ্ব একাদশ: পাকিস্তানীরা আমন্ত্রণ পায়নি, দাবি ভারতীয় বোর্ডের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
অব্যাহত দরপতনের ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন অসংখ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ইকবাল হোসেন নামের একজন বিনিয়োগকারী বলছেন, ''পারিবারিকভাবে পাওয়া জমি বিক্রি করে ত্রিশ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। বাজার যখন পড়তে শুরু করলো, তখন ভাবলাম আবার ঘুরে যাবে। এই ভাবতে ভাবতে আমার ত্রিশ লাখ টাকার শেয়ার এখন দশ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এখন সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে।'' একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ফারহানা হায়দার বলছিলেন, তার বিনিয়োগ এখন অর্ধেক হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, ''আমি বিশ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। নানা রিউমার। শুরুতে এটা ওটা কিনেছি। পরে দাম পড়তে শুরু করায় অনেকগুলো বিক্রিও করে দিয়েছি। এখন আমার প্রায় দশ লাখ টাকা আছে।'' শেয়ার লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় আসা বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীদের গল্প অনেকটা একই রকম। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আফসান চৌধুরীর শৈশবের যৌন নিপীড়নের কষ্টের স্মৃতি অভিবাসনের গোপন মাশুল দিচ্ছে শিশুরা ৫০ বছর পরও যে সিনেমা ঘিরে অনেক রহস্য ফেসবুকে নারীদের মত প্রকাশ কতটা নিরাপদ? প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, সেখানে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতির হার কমে গেছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গত তিনমাস ধরে অব্যাহত দরপতন চলছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৭২দিন লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ৩৮দিনই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকের পতন হয়েছে। গত তিনমাসে এই বাজারটি সূচক হারিয়েছে ছয়শো পয়েন্ট। সরকার ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এরপর বাজার অনেকটা টেনে তোলা হয়েছে, কিন্তু তা কারো মধ্যেই স্বস্তি আনতে পারেনি। একটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী মাসুদুল আলম বলছিলেন, ''গত ২/৩ মাস যাবত শেয়ারমার্কেট একটু নিম্নগামী আছে। এর মূল কারণ আমরা যেটা বুঝতে পারছি যে, ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট রয়েছে, ফলে তারা এখানে বেশি বিনিয়োগ করছে না।'' ''নির্বাচনের পর যখন বাজারটা উঠেছিল, তখন অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখন আর 'কেনার মুডে' নেই। এছাড়া আরেকটি সমস্যা হলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা।'' ''বিশেষ করে ক্যাশ একাউন্টে যারা কেনাবেচা করেন, তারা যখন দেখেন বাজার পড়ে যাচ্ছে, তারা বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। তাতে বিক্রির চাপটা আরো বেড়ে যাচ্ছে আর দামও পড়ে যাচ্ছে,'' তিনি বলছেন। তিনি বলছেন, সব শেয়ারবাজারেই কমবেশি কারসাজির অভিযোগ থাকে, এজন্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের যেমন নজরদারি বাড়াতে হবে, তেমনি বিনিয়োগকারীদেরও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তারা এই ফাঁদে না পড়েন। শেয়ারের দরপতনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভও করেছেন বিনিয়োগকারীরা এই বাজারে এর আগেও অস্বাভাবিক দরপতনের ঘটনা দেখা গেছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, একটি চক্র বাজারে কারসাজি করছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানিয়েছে, বাজারের ওপর সবসময়েই তাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক মনে করেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অস্থিরতার বড় কারণ নিয়মতান্ত্রিকতা না থাকা। তিনি বলছেন, শেয়ার বাজারে পূর্ব ধারণার ব্যাপার সব জায়গায় থাকলেও, উন্নত দেশগুলোয় একটি নিয়মতান্ত্রিকতা থাকে। ফলে এসব বাজারে যেকোনো শেয়ারের যেমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ে না, তেমনি এরকম পতনও হয়না। সেখানে একটা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা থাকে। ''কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে সেই নিয়মতান্ত্রিকতার অভাব রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত লোভী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা মধ্যস্বত্বভোগীরা সেই সুযোগ নিয়ে বেশি মুনাফা করার জন্য পুরো বাজারে কারসাজি করেন।'' ''বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা যদি থাকতো, এসব কারসাজির সুযোগ যদি না থাকতো,তাহলে কিন্তু বাজারের এই চিত্রটি আমাদের দেখতে হতো না।'' তিনি বলছেন। তিনি বলছেন, ২০১০ সালের শেয়ারবাজারের দরপতনের পর তদন্ত কমিটি হলেও সেসব ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি, তেমনি সব সুপারিশও কার্যকর করা হয়নি। ফলে অনেকেই এ ধরণের অপরাধে উৎসাহিত হচ্ছেন আর তাই শেয়ারবাজারের বারবার এ রকম অস্বাভাবিক উত্থান ও পতনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ: শেয়ারের অব্যাহত দরপতনে বিরাট ক্ষতির মুখে বহু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৮২ জনের মধ্যে, যার মধ্যে অন্তত ২৫৭ জনই ঢাকা জেলায় রয়েছেন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৮২ জনের মধ্যে, যার মধ্যে অন্তত ২৫৭ জনই ঢাকা জেলায় রয়েছেন। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ জানায় যে নারায়ণগঞ্জকে এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণের 'এপিসেন্টার' মনে করা হচ্ছে। তবে ঢাকার ভেতরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নারায়ণগঞ্জে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ঢাকায় কয়েকটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে কয়েকদিন আগেই জানানো হয় আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগ, বাসাবো এবং পুরনো ঢাকায় ছোট আকারের ক্লাস্টারে কমিউনিটি সংক্রমণ বা সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানিয়েছিল আইইডিসিআর। ঢাকায় কীভাবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী? করোনাভাইরাস যেহেতু বিদেশ থেকে দেশে প্রবেশ করা মানুষের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাই ঢাকাতে ভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকার মধ্যে অস্বাভাবিকতা নেই বলে মন্তব্য করেন আইইডিসিআরের উপ পরিচালক নাসিমা সুলতানা। "বিদেশ থেকে আসা অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতেই থাকেন। তাছাড়া ঢাকার বাইরেও যেসব প্রবাসী থাকেন, তাদের অনেকেই বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে কিছুদিন ঢাকাতেই অবস্থান করেছেন। সেখান থেকেই সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটেছে বলে মনে করছি আমরা।" তবে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর মনে করেন আরো অনেক কারণেই ঢাকার ভেতরে সংক্রমণের হার বেশি হয়ে থাকতে পারে। "ঢাকার মত জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক।" ঢাকায় হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা এএসএম আলমগীর বলেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াতের হিসেবে দেশের অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে বেশি সুবিধা রয়েছে ঢাকায়, যেটি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণ হতে পারে। "করোনাভাইরাস কোনো একটি সমতলে বেশ কিছুক্ষণ বেঁচে থাকে। অর্থাৎ কোনো একটি রিকশা, গাড়ি বা গণপরিবহনে একজন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি ভ্রমণ করলে সেখানে তা লেগে থাকতে পারে এবং পরে আরেকজন ঐ পরিবহণ ব্যবহার করলে তাকে সংক্রমিত করতে পারে", বলেন মি. আলমগীর। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সিঁড়ির রেলিং, লিফট, এসকেলেটরেও ভাইরাস ছড়াতে পারে, যা পরে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? এএসএম আলমগীর বলেন, "দেশের অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে ঢাকা শহরে এইভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ বেশি।" পাশাপাশি ঢাকায় হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। "শুরুর দিকে যেহেতু ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালেই ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা কর হয়েছে, সেসময়ও ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে হয়তো কয়কেজনের মধ্যে ভাইরাস ছিল, কিন্তু তাদের মাধ্যমে হাসপাতালে যাওয়া অসতর্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। কারণ পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালগুলোতে অনেকসময় দীর্ঘ লাইন হতো।" আর কারো দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার মত ঘটনা ঘটার কারণে ঢাকার ভেতরে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি আগে থেকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে ধারণা প্রকাশ করেন মি. আলমগীর। "অনেকক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে বা শনাক্ত হলে ঐ ব্যক্তি ও তার পরিবারের সাথে বিরুপ আচরণ করেছেন আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী বা প্রতিবেশীরা।" "এরকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় অনেকেই হয়তো উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও চিকিৎসা নিতে আসেননি, বা দেরিতে এসেছেন - কিন্তু ততদিনে হয়তো তার মাধ্যমে কয়েকজনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে", বলেন এএসএম আলমগীর। প্রবাসীদের অনেকেই মানেননি হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা 'পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে' এই ধরণের ঘটনা ঘটার ফলে রোগী শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডাক্তার মোশতাক হোসেনও। "কারো বাসায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে তার বাসা একরকম লকডাউন হয়ে যাচ্ছে। যারা ফ্ল্যাটবাড়ি বা একটি মহল্লায় থাকেন, অনেকসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পুরো এলাকাটিই লকডাউন করে দিচ্ছেন। তারা অপেক্ষাও করছেন না নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য।" এসব ঘটনার কারণে মানুষ মধ্যে রোগ লুকিয়ে রাখা ও শনাক্ত হলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করেন মোশতাক হোসেন। ঢাকার মধ্যে ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার এটিও একটি কারণ বলে ধারণা করছেন আইইডিসিআরের সাবেক এই মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। যাতায়াতের হিসেবে দেশের অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে বেশি সুবিধা রয়েছে ঢাকায়, যেটি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা "সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক গ্রামাঞ্চলে তারা এক ধরণের সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।" "আবার বিদেশফেরত অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনের অনুরোধ মানেন নি। তখন অনেক এলাকার জনগণই তাদেরকে সহযোগিতা করার পরিবর্তে তাদের বিরুদ্ধে বিরুপ হয়েছেন। ফলে তারা সেখান থেকে ঢাকা চলে এসেছেন", বলেন মোশতাক হোসেন। "দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনের ভয়ে অন্য এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছেন এমন প্রবাসী ব্যক্তি আছেন" মন্তব্য করে মোশতাক হোসেন জানান ঢাকায় আসলে কেউ সেভাবে খবরদারি করবে না বিধায় প্রবাসীদের অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এসে অনেকটা গোপনে বসবাস করছে। মোশতাক হোসেন জানান ঢাকার যেসব এলাকায় ক্লাস্টার পাওয়া গেছে সেসব জায়গায় এরকম বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যক্তি শনাক্ত করেছেন তারা। তবে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি হারে মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে শনাক্ত করা ক্লাস্টারগুলো থেকেই।
করোনাভাইরাস: ঢাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি কেন?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
নাসিরনগরের আক্রান্ত একটি মন্দির পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর সদস্যও। মুসলমানদের পবিত্র কাবাঘরের প্রতি অবমাননাসূচক একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার জেরে গত রোববার নাসিরনগর উপজেলায় একদল বিক্ষুব্ধ লোক হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে হামলা করে। বিবিসির সংবাদদাতা সেখানে ঘুরে দেখেছেন, শতাধিক বাড়ি এবং দশটিরও বেশি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এর আগেও গত বছর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর এধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর মাদ্রাসার ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এই এলাকায় বেশ কিছু মাদ্রাসা রয়েছে, অন্যদিকে এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। তাই এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কতোটা ভূমিকা রাখেন, এ নিয়েও একটা প্রশ্ন আছে। নাসিরনগরে আক্রান্ত একটি বাড়ি এ নিয়ে কথা হচ্ছিল নাসিরনগরের বাসিন্দা বলাই দত্তর সাথে। তিনি বলছিলেন, এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ছিল খুবই সুন্দর। পূজা-পার্বণ সবকিছুতেই স্থানীয় মুসলিমদের সহযোগিতা তারা পেয়ে থাকেন। জনপ্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করেন। "কিন্তু এ ধরণের ঘটনা এখানে কখনো ঘটেনি। জনপ্রতিনিধিরা বা প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কি করেছে তা আমরা বুঝতে পারি নি।" "শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য জনপ্রতিনিধিরা তৎপর থাকেন, কিন্তু এ ঘটনার সময় তারা তৎপর ছিলেন কিনা তা বলতে পারলাম না। তারা যদি থাকতো তাহলে অবশ্যই কিছু মানুষ রক্ষা পেতো । " - বলছিলেন মি. দত্ত। এখানে মাদ্রাসার আধিক্যের বারণে এগুলোর সাথে সম্পৃক্তরা রাজৈনৈতিকভাবে শক্তিশালী বলে ধারণা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে সে জন্য কোন হামলার সময় মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়িত থাকলে জনপ্রতিনিধিরা তার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিতে পারেন না। কিন্তু নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার এ অভিযোগ মানতে রাজি নন। "আমরা সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এখানে উপস্থিত ছিলাম। দৌড়াদৌড়ি করেও আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি নি। বিচ্ছিন্ন কিছু লোকজন মন্দিরে হামলা করেছে। তাদের হাতে রামদা,শাবল, বাঁশের মতো অস্ত্র ছিল- তাই কেউ এটা প্রতিহত করতে পারে নি। " তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবার জন্য তারা সব সময়ই সক্রিয়। তবে মাদ্রাসাগুলোর ছাত্র শিক্ষকরা বলছেন যে কোন কিছু ঘটলেই তাদের ওপর দোষ চাপানো হয়, এবং তাদের মতে এটা রাজনীতির অংশ। এখানকার সবচেয়ে বড় মাদ্রাসার শিক্ষক এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি এনামুল হাসান বলছেন, সহিংসতা নয়, ইসলাম আক্রান্ত হলেই তারা কেবল প্রতিবাদ করেন। " আসলে ইসলাম আগে থেকেই আক্রান্ত। নোংরা রাজনীতির কারণেই ওলামায়ে কেরাম , বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোর ওপর আক্রমণ হয়, এবং 'ব্লেম গেম' করা হয়।" " এ ধরণের ঘটনা যখন ঘটে , তখন আমরা সচেতন লোকজনের সাথে পরামর্শ করি যেন ভবিষ্যতে এ ঘটনাগুলো আর না হয়। যে একসিডেন্টগুলো হয়ে যায়, তাকে তো আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। " বলেন মুফতি এনামুল হাসান। নাসিরনগরে এমন বহু দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুরের শিকার হয়েছে ওই হামলায়। তবে স্থানীয় মুসলমানদের কেউ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি হলে তা রোধ করতে এগিয়ে আসেন -এ নিয়ে পক্ষেবিপক্ষে যত বিতর্কই থাকুক না কেন। রোববারের হামলার সময়ও হিন্দু বাড়ি রক্ষা করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন স্থানীয় যুবক জামাল উদ্দিন। "আমি তখন আমার জীবনের কথা চিন্তা করি নি। আমার ভাই, আমার গ্রাম, আমার সমাজ - ওদের তো কোন দোষ ছিল না। ওরা তো একেবারে নিরপরাধ লোক, এরকম বর্বরোচিত হামলা কেন ওদের ওপর হবে? এরা তো কোন অন্যায় করে নি।" জামাল উদ্দিন বলছিলেন,"আমার এক ভাই এরকম অযাচিত হামলার শিকার হবে, আমার মা-বোনের ইজ্জত যাবে - তাহলে আমাদের থেকে লাভ কি? আমরা একটুখানিও নিজের প্রতি মায়া ছিল না।" জামালউদ্দিন, দত্তবাড়ির প্রধান ফটকে দাড়িয়ে হামলাকারীদের বাধা দিচ্ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের জেলার বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব থাকে, তাদের কথাই শেষ কথা। কিন্তু এসব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ভুমিকা রাখতে পারছেন না কেন? ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আল-মামুনকে এ প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন, "আসলে আকস্মিক ভাবে এসব ঘটনা ঘটে। এটা মোবাইল ফোনের যুগ। গত বছরের ঘটনাটা কেউ বুঝতে পারে নি, বা টের পায় নি। বুঝতে পারলে , টের পেলে তা প্রতিহত করার মতো রাজনৈতিক শক্তি আমাদের আছে। " দুটো ঘটনা ঘটে যাবার পর তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আরো সচেতন হবার তাগিদ অনুভব করছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা: কি করেছেন এমপি, স্থানীয় নেতারা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গাঁজার লেনদেনের জের ধরে পুলিশে ফোন, অবশেষে কারাগারে অভিযোগকারী নারী অবিশ্বাস্য মনে হলেও রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া বাজারে। ওসি শাহজাহান কবির বিবিসিকে জানান, রবিবার ভোর ৬টার দিকে '৯৯৯' থেকে ফোন দিয়ে থানার পুলিশকে জানানো হয় ব্রাক্ষণপাড়া বাজারে একজন গাঁজা ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। এরপরেই থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়। জাকির হোসেন বিবিসিকে বলছেন, "আমি সবে রাতের ডিউটি শেষ করে থানায় ফিরেছি। '৯৯৯' এর ফোন পেয়ে আবার ব্রাক্ষণপাড়া বাজারে ছুটলাম। সেখানে গিয়ে দেখি, একজন মধ্যবয়স্কা নারী দাঁড়িয়ে আছেন।'' "তার অভিযোগ, তিনি তিন কেজি গাঁজা কেনার জন্য একজন পাইকারি গাঁজা বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই গাঁজা বিক্রেতা তাকে এক কেজি গাঁজা দিয়েছে। তাই তিনি '৯৯৯' নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করেছেন।" আরো পড়ুন: গাঞ্জাপ্রেনিউর: কানাডায় গাঁজা ব্যবসায়ীদের উত্থান বিভিন্ন দেশে কেন গাঁজাকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে? যেসব কারণে গাঁজা বৈধ করতে যাচ্ছে ক্যানাডা ''তার অভিযোগ, তিনি তিন কেজি গাঁজা কেনার জন্য একজন পাইকারি গাঁজা বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই গাঁজা বিক্রেতা তাকে এক কেজি গাঁজা দিয়েছে। তাই তিনি '৯৯৯' নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করেছেন।'' বলছে পুলিশ। জাকির হোসেন বলছেন, ওই পাইকারি বিক্রেতাকে তারা পাননি। তবে এক কেজি গাঁজাসহ পাওয়ায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মাদক দ্রব্য আইনে মামলার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ''আমি তার কাছে জানতে চাইলাম, গাঁজা বেচা-বিক্রি করা তো অবৈধ কাজ, আপনি সেটা পুলিশের নম্বরে ফোন করলেন কেন। ওই নারী বলেছেন, তাকে তিন কেজির কথা বলে এক কেজি দেয়ায় রাগ করে ওই পাইকারি বিক্রেতাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি ওই কাজ করেছেন।'' বলছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত নারী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তবে গাঁজা কেনার জন্য এর আগেও তিনি কয়েকবার ব্রাক্ষণপাড়ায় এসেছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। পাইকারি ওই গাঁজা বিক্রেতাকে খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যে ভুলের কারণে জন্ম নিলো ১২০ কোটি ডলারের ব্যবসা নেপালের রিপোর্টে দায়ী ইউএস বাংলার পাইলট আফগানিস্তানে কিভাবে ঢুকেছিল সোভিয়েত বাহিনী ক্যান্সারের রোগীকে যেসব কথা বলা উচিত নয়
কুমিল্লায় তিন কেজির বদলে এক কেজি গাঁজা, '৯৯৯' ফোন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হারের পর হতাশাচ্ছন্ন মেসি পাঁচবারের বিশ্বসেরা খেলোয়াড় দুই ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি। এমনকি আইসল্যান্ডের সাথে একটি পেনাল্টিও মিস করেছেন। ২০০২'এর পর প্রথমবার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনার। ৩০ বছর বয়সী মেসি আরেকটি বিশ্বকাপ হয়তো খেলতে পারবেন, কিন্তু অনেক ফুটবল বোদ্ধার মতেই রাশিয়া বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার হয়ে কোনো মেজর শিরোপা জেতার শেষ সুযোগ তাঁর সামনে। ঘরোয়া লিগ ও কাপের 'ডাবল' জিতলেও বার্সেলোনায় শেষ মৌসুমটা খুব একটা ভাল যায়নি মেসির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে টানা তৃতীয়বারের মত বিদায় নিতে হয় তাদের। আর এই তিনবারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়াল মাদ্রিদের হাতে ওঠে শিরোপা। মেসির এই মৌসুমের হতাশাজনক পারফরমেন্সের অনেক কারণ থাকতে পারে, যেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছেন বিবিসি'র ক্রীড়া সাংবাদিকরা। ধারণা করা হচ্ছে ক্লান্তি ও ইনজুরির কারণে এবারের বিশ্বকাপে মেসি'র পারফরমেন্স ধারহীন ১. তিনি শারীরিকভাবে ক্লান্ত ২০১৭-১৮ ইউরোপীয় মৌসুমে ৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি, ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর যা সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কট'এর তথ্য অনুযায়ী গত মৌসুমে মোট ৪'৪৬৮ মিনিট খেলেছেন তিনি আর গড়ে প্রতি ম্যাচে ৮২.৭ মিনিট মাঠে ছিলেন। মৌসুম শেষে বার্সেলোনার হয়ে ৪৫টি গোল আর ১৮টি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ২. ছোট একটি ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি ২০১৮'র এপ্রিলে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির পত্রিকা ক্লারিন প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে ডান পায়ের উরুর মাংসপেশিতে সামান্য চোট রয়েছে মেসির, যার কারণে দৌড়ানো ও গতি পরিবর্তন করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে তাঁর। বিশ্বকাপের আগে ইতালি আর স্পেনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মেসি না খেললে বিষয়টি আলোচনায় আসে। ৩. আর্জেন্টিনা দলের বাজে পারফরমেন্স রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার পারফরমেন্স ছিল দারুণ হতাশাজনক। নানা সমীকরণ শেষে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় তারা। বাছাইপর্বে সাত গোল করে মেসি আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ স্কোরার হলেও সমর্থক ও গণমাধ্যমের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেললেও তাদের শেষ বিশ্বকাপ বিজয় ছিল ১৯৮৬ সালে। ২০০৪ আর ২০০৮ এ পরপর দু'বার অলিম্পিক শিরোপা জিতলেও, ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকার পর গত ২৫ বছরে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা রোনাল্ডোর সাথে প্রতিনিয়ত তুলনার মানসিক চাপ প্রভাব ফেলেছে মেসির খেলায় ? ৪. রোনালদোর সাথে তুলনার মানসিক চাপ গত প্রায় এক দশক ধরে বিশ্ব ফুটবলে মেসির একমাত্র তুলনা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবারের বিশ্বকাপে মেসির ঠিক বিপরীত ফর্মে রয়েছেন তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। স্পেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাট-ট্রিক করে রোনালদোর রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হয়, যেখানে ফ্রি কিক থেকে নেয়া রোনালদোর তৃতীয় গোলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় গোলগুলির একটি হয়ে থাকবে। দ্বিতীয় ম্যাচেও রোনালদোর একমাত্র গোলেই মরক্কোকে হারায় পর্তুগাল। এবারের টুর্নামেন্টে রোনালদো যেখানে অপ্রতিরোধ্য ফর্ম প্রদর্শন করছেন, সেখানে পুরো আসরে মেসির বলার মত মুহূর্ত বলতে আইসল্যান্ডের সাথে পেনাল্টি মিস। আর মেসি যা এখনো করতে পারেননি দু'বছর আগে ইউরো ২০১৬'তে দলকে শিরোপা জিতিয়ে তাই করে দেখিয়েছেন রোনালদো। আর্জেন্টিনার ছন্নছাড়া পারফরমেন্সের বলি হয়ে অসময়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবেন মেসি? আর্জেন্টিনার জন্য সমীকরণ ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর এখন নকআউট রাউন্ডে ওঠার জন্য ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে আর্জেন্টিনাকে। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে ড্র করায় মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার সাথে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ও আর্জেন্টিনার পরের রাউন্ডে উত্তরণ নিশ্চিত করতে পারবে না। শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আইসল্যান্ড নাইজেরিয়াকে হারালে শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সাথে ড্র করলেই নক আউট রাউন্ড নিশ্চিত হবে তাদের। অর্থাৎ পরের দুই ম্যাচে আইসল্যান্ড একটি ড্র ও একটি জয় পেলেই নিশ্চিত হবে আর্জেন্টিনার বিদায়। তবে নাইজেরিয়াকে হারানোর পর আইসল্যান্ড ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারলে সুযোগ থাকবে আর্জেন্টিনার সামনে। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে তাদের। আর আইসল্যান্ড নাইজেরিয়ার কাছে হারলেও শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানেই জয়ের লক্ষ্য রাখতে হবে আর্জেন্টিনাকে। কারণ শেষ ম্যাচে আইসল্যান্ড ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দিলে এবং আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলে আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ড দুই দলেরই পয়েন্ট সমান হবে। তখন গোল ব্যবধানে নির্ধারিত হবে গ্রুপ রানার আপ। ক্রোয়েশিয়ার কাছে তিন গোল খাওয়ায় গোল ব্যবধানের হিসেবেও এখন পিছিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। আইসল্যান্ড তাদের পরের দু'টি ম্যাচ ড্র করলে বা হারলে নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিতলেই নক আউট রাউন্ড নিশ্চিত হবে আর্জেন্টিনার। আরো পড়তে পারেন: রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত নজর কেড়েছেন কারা বিশ্বকাপ ২০১৮: রাশিয়ার জন্মহার বাড়াবে ফুটবল? বিশ্বকাপ ২০১৮: রুশ নারীরা এত আলোচনায় কেন? দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মেজর শিরোপা জিততে পারেননি মেসি আর্জেন্টিনার হতাশার ম্যাচ - পরিসংখ্যান •বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিপক্ষের সাথে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল ক্রোয়েশিয়া। লাতিন আমেরিকান দলের বিপক্ষে এর আগে চারবারই হেরেছিল তারা। •১৯৫৮ বিশ্বকাপে চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের পর বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ৬০ বছরে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় হার এটি। •১৯৭৪ এর পর এই প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে জয় বঞ্চিত থাকলো আর্জেন্টিনা। •বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ চার ম্যাচে জয় পেতে ব্যর্থ হলো আর্জেন্টিনা (ড্র ২টি, হার ২টি) যা তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় জয় ছাড়া থাকার রেকর্ড। •আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসি ১১টি শট নিয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৬৪ মিনিটের আগ পর্যন্ত গোলপোস্টে কোনো শট নিতে পারেননি তিনি। •এবারের বিশ্বকাপে যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি শট নিয়েছেন মেসি (১২টি)। কিন্তু গোল করতে পারেননি কোনো প্রচেষ্টাতেই।
২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলে লিওনেল মেসির হতাশাজনক খেলার কারণ কী?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিবিসির ইমা রাসেল এমন ছয়জন কর্মজীবী নারীর তিক্ত অভিজ্ঞতাকে ব্যাখ্যা করেছেন। একজন এমন কাণ্ড করেছিল যা আমার জীবনে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা - মানসিকভাবে খুবই আঘাত পেয়েছিলাম। এরপর থেকে পোশাক-পরিচ্ছদ, স্কার্ট পরা এবং জামার গলাসহ নানা ব্যাপারে সচেতন থাকি ১৭ বছর বয়সে গীর্জায় গিয়ে আমি টয়লেটে লুকিয়ে ছিলাম। কারণ কে আমার সতীত্ব কেড়ে নিতে পারে এ নিয়ে কয়েকজন বৃদ্ধ লোক মজা করছিল। এতে আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম। ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করার সময় এক লোক আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছিল। এখন স্কার্ট পরা ছেড়ে দিয়েছি। এ ধরনের হয়রানির ফলে অনেকেই কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়। বারে কাজ করার সময় একজন কাস্টমার আমাকে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে আন্ডারওয়ারে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিল - একদম জনসম্মুখে, সবার সামনে! সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর পুরো সপ্তাহ আমার আতঙ্কে কেটেছে। কাদঁতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছি, যেকোন ছোটখাটো জিনিস এখনও আমার কাছে উদ্বেগের বিষয়, খাওয়া-দাওয়াও একদম কমে গেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে বসের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সবাই পুরুষ ছিল। এক বছরে একজন ব্যক্তির দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে পাঁচজন নারী চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। আরো পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে অর্ধেক নারীই যৌন হয়রানির শিকার: বিবিসির জরিপ 'এক পর্যায়ে মনে হতো, আমি যৌনদাসী' হলিউডে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের মিছিল হজ করতে গিয়ে যৌন হয়রানি: মুখ খুললেন আরেক নারী ধর্ষণ নিয়ে টিভিতে হাস্যরসের পর ফেসবুকে ঝড় হয়রানি রুখে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি নারীর গল্প
কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হন নারীরা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাইসাইকেল জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরের দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকের সময় তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব করেছে, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সেখানে গিয়ে যৌথভাবে বিনিয়োগও করতে করতে পারে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বাইসাইকেল তৈরির কারখানা গড়ে তুলতে পারেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। তাতে করে পশ্চিমবঙ্গে আমদানি খরচ কমে আসবে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তা এবং বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এসব প্রস্তাব বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কতটা বাস্তব সম্মত সেটা ভেবে দেখার বিষয় আছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ বলেন, ভারতে রপ্তানির বিষয়টি সামগ্রিক রপ্তানি কৌশলের একটি অংশ হতে পারে। কিন্তু সেটি একমাত্র কৌশল নয়। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের বাইসাইকেল তো শুধু ভারতে রপ্তানি হবে না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা যদি জাপানে রপ্তানি করেন, তাহলে জাপানে গিয়ে ফ্যাক্টরি দেবেন নাকি?" তিনি বলেন, বাইসাইকেল রপ্তানির বিষয়টিকে সামগ্রিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের একজন শীর্ষ উদ্যোক্তা বিবিসি বাংলাকে বলেন, সীমান্ত এলাকায় বাইসাইকেল কারখানা স্থাপন করার বিষয়টি আদৌ বাস্তবসম্মত কিনা সেটি ভেবে দেখার বিষয় আছে। "বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ নানা পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কারখানা কোথায় অবস্থিত সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন সে উদ্যোক্তা। গত কয়েক বছর যাবত বাইসাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশ ভালো করছে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। ফাহমিদা খাতুন বাইসাইকেল রপ্তানির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে । বর্তমানে ইউরোপের ১৮টি দেশে বাংলাদেশের বাইসাইকেল আমদানি করা হয় বলে উল্লেখ করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো তাদের চাহিদার ১১ শতাংশ বাইসাইকেল বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। ভারত বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানি করতে চাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে উৎপাদন খরচ। "কোন একটি দেশ সেই পণ্যটিই আমদানি করতে চায় যখন তারা দেখে যে একই পণ্য তৈরি করতে তাদের খরচ ও বিক্রয় মূল্য বেশি হবে," বলছিলেন ফাহমিদা খাতুন। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বলছেন, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বাংলাদেশের তৈরি বাইসাইকেল বিশ্বের যে কোন দেশে রপ্তানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত একটি ভালো বাজার। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রাণ- আরএফএল গ্রুপের তৈরি 'দুরন্ত বাইসাইকেল' ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা সর্বপ্রথম বাইসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছিলাম যুক্তরাজ্যে। সেটা আমাদের প্রধান মার্কেট ছিল। তারপর আমরা জার্মানিতে রপ্তানি করলাম, ফ্রান্সে এবং বেলজিয়ামেও রপ্তানি করলাম।" বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বাইসাইকেল রপ্তানি করা হয় বলে মি: চৌধুরী উল্লেখ করেন। পৃথিবীর বাইসাইকেলের বাজার এক সময় চীনের দখলে ছিল। এর পাশাপাশি কম্বোডিয়াও কিছু রপ্তানি করতো। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নত দেশগুলোতে বাইসাইকেলের বাজার যে আরো সম্প্রসারিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে পরিবেশগত। "পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে এখন পরিবেশসম্মত যানবাহনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাইসাইকেল সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব। এসব দেশে বাইসাইকেলের চাহিদা যত বাড়বে বাংলাদেশের রপ্তানির বাজারও তত সম্প্রসারিত হবে," বলছিলেন অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন। উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউরোপের বাজারে বাইসাইকেল রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেয়েছে। এ বিষয়টির কারণে সাইকেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছে। আহসান খান চৌধুরী আশা করছেন, অচিরেই বাংলাদেশের তৈরি বাইসাইকেল আমেরিকার বাজারে সহজলভ্য হবে। আরো খবর: মহারাষ্ট্রে মাঝরাতে বিজেপির নাটকীয় ক্ষমতা দখল 'নগ্ন দৃশ্যগুলোয় অভিনয় করা কঠিন ছিল' সিরিয়ার তেল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? 'হিটলারকেও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দিতো ফেসবুক'
সীমান্তে বাইসাইকেল কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রস্তাব কি বাস্তবসম্মত?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখন পূর্ব রাজাবাজারে আরও সাত দিন লকডাউন থাকবে এবং তারপর সেখানকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এর সময় বাড়ানো না বাড়ানোর প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে, পূর্ব রাজাবাজারকে মডেল হিসাবে নিয়ে দেশে ১০টি জেলা যেমন, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, বগুড়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর সোমবার রাতে আরও পাঁচটি জেলার কিছু এলাকাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি দেয়া হয়েছে। এই জেলাগুরো হচ্ছে, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এবং কুষ্টিয়া। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, দেশে এখন সংক্রমণের উচ্চ হার রয়েছে, এমন সব এলাকাকে একসাথে কার্যকরভাবে লকডাউন করা হলে এখনও ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সেটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউনের ১৪দিন ৩৪জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রায় ৫০,০০০ মানুষের বসবাসের পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে দুই সপ্তাহ আগে যখন লকডাউন করা হয়, তখন সেখানে শনাক্ত হওয়া কভিড-১৯ রোগী ছিল ২৯ জন। এলাকাটিতে লকডাউনের ১৪দিনে আরও ৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই নতুন রোগী শনাক্ত করার বিষয়কে সাফল্য হিসাবে তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন সেখানে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে। এলাকাটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এবং সেচ্ছাসেবকরা দোকানসহ সব কিছু বন্ধ রাখা এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। এলাকার ভিতরে ভ্যানে করে চাল ডাল সবজি বা মাছ মাংস বিক্রির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে এভাবে সেখানে কতটা লাভ হচ্ছে, তা নিয়ে এলাকাটির বাসিন্দাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তারা লম্বা সময় লকডাউনে থাকার ভোগান্তি নিয়েও অভিযোগ করেছেন। পূর্ব রাজাবাজারের একজন বাসিন্দা ফিরোজা আকতার বলেছেন, "শুরুর দিকে দেখেছি ভলান্টিয়াররা মাইকিং করছে বা আমাদের বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছে। প্রথম দুই তিন দিন আমরা সেটা ফিল করেছি। কিন্তু এরপর ১০ বা ১২দিন ধরে তাদের উপস্থিতি আমরা টের পাচ্ছি না। "টিভিতে অনেক সময় দেখাচ্ছে, যে জায়গায় ভলান্টিয়ার বা পুলিশ বসে আছে, এখানকার আশেপাশের লোকজন হয়তো সাপোর্ট পাচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা একটু ভিতরের দিকে আছি, আমরা সে রকম সাপোর্ট পাচ্ছি না।" "আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ভলান্টিয়াররা প্রথমদিকে যখন এসে মাছ,মাংস ওনারা নিয়ে এসেছে, সেগুলোর দাম ছিল অনেক বেশি। আমাদের অনেকের বেশি তা কেনা সম্ভব ছিল। এখন সময়টা যত লম্বা হচ্ছে, আমাদের সাফারিংস তত বাড়ছে।" সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের উচ্চহার বিবেচনা করে ছোট ছোট এলাকাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে কার্যকরভাবে লকডাউন করার কথা বলা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ১৫টি জেলায় ছোট ছোট এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এই জেলাগুলোর চিহ্নিত এলাকাগুলোর বেশিরভাগই ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে লকডাউন করা হয়েছে। এখন তা অব্যাহত থাকবে। এসব জেলার মধ্যে যশোরে অভয়নগর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১০৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে এবং পৌর এলাকাতেও লকডাউন চলছে তিনদিন ধরে। অভয়নগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভিন বলেছেন, এখন সরকারের নির্দেশের পর কঠোরভাবে লকডাউন করার চেষ্টা তারা করছেন। "আমাদের অভয়নগর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই লকডাউন চলছে। কোন লোকজন যাতায়াত করতে পারতেছে না। পুলিশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা বজায় রেখে টহল দিচ্ছে।" তিনি আরও বলেছেন, "প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এবং যারা একটু অসুস্থ আছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠাচ্ছে।" সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এলাকাভিত্তিক লকডাউন এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং তা সংক্রমণ ঠেকাতে ভাল ফল দেবে বলে সরকার মনে করছে। "আমাদের কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তাদের মতামত নিয়েই এটা করা হচ্ছে। তাদের ধারণা, আমরা যদি ছোট ছোট এলাকা নিয়ে লকডাউন করি, তাহলে সংক্রমণ কমানো সম্ভব হবে। এটি অবশ্যই কাজ করবে।" বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই অবশ্য এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পক্ষে বলছেন। তারা বলেছেন, সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এখন মানুষের সামনে কোন ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। সেখানে কোন ব্যবস্থা না থাকার চাইতে কিছু একটা হওয়া উচিত। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে একসাথে কার্যকরভাবে লকডাউন করা না হলে লাভ হবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক একজন পরিচালক ডা: বে-নজীর আহমেদ বলেছেন, "আমরা যদি বলি, আমাদের ৫০০ উপজেলা। তাহলে প্রত্যেক উপজেলায় দু'টো করে জায়গা চিহ্নিত করা হলে মোট ১০০০টি জায়গা হবে। আর ঢাকায় যদি ৩০০ বা ৪০০ জায়গায় করা হয় এবং চট্টগ্রামে ২০০ জায়গা চিহ্নিত করা হলে দেড় হাজারের মতো জায়গা হবে। এটা করা কঠিন কোন বিষয় নয়।" তিনি আরও বলেছেন, "আমরা পরিকল্পনাটা যদি ভালভাবে করি। এবং এটা একসাথে করতে হবে। তাহলে ১৪দিন, ২৮ বা ৪২ দিনের মদ্যে আমরা এর একটা ইমপ্যাক্ট দেখতে শুরু করবো।" কিন্তু সেটা কতটা কার্যকরভাবে করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকের সন্দেহ রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এলাকাভিত্তিক লকডাউন কঠোরভাবেই করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক এলাকা একসাথে করার ক্ষেত্রে লোকবল এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব হটস্পট লকডাউন করার চেষ্টা তাদের রয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনা ভাইরাস: 'সময়টা যত লম্বা হচ্ছে, আমাদের সাফারিংস তত বাড়ছে'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইসিডিডিআর,বি যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে। নতুন এই গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া মানুষের মধ্যে ৯৪ শতাংশই ছিলেন লক্ষ্মণ ও উপসর্গহীন। গবেষণায় ঢাকার ১২,৬৯৯ জন মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার মধ্যে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পজিটিভ। বস্তি এলাকায় এই সংক্রমণের হার প্রায় শতকরা ৭৪ ভাগ। আক্রান্তদের ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মানুষের হার ১৮%। পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় গবেষণায় লক্ষ্মণ ও উপসর্গ নেই এমন ৮১৭ ব্যক্তির দেহের নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৫২৮ জনই কোভিড-১৯ শনাক্ত পাওয়া যায়। এছাড়া উপসর্গ ছিলএমন ৫৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৪০০ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার নারীদের মধ্যে কম আগে এমন একটি ধারণা ছিল। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেদিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেইদিন সংক্রমণের হারে নারী ও পুরুষের মধ্যে তেমন ফারাক দেখা যায়নি। গবেষণার জন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মধ্য থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়। এবং প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর আটটি বস্তিকে এ জরিপে যুক্ত করা হয়। সোমবার ঢাকায় কোভিড-১৯-এর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর বিষয়ে এক ওয়েবিনারে নতুন গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়। করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা অনুমান করছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে কেউই করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশংকা থেকে মুক্ত নয়। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোন উপায় নেই। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
করোনা ভাইরাস: 'ঢাকার শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন' - নতুন গবেষণা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
দাউ দাউ করে পুড়ছে আমাজন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই বনটি পরিচিত পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে। কারণ সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি হয় তার ২০% আসে এই আমাজন থেকে। দাবানলের কারণে মাইলের পর মাইল বনাঞ্চল পুড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশ্বনেতারা। ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইট করে বলেছেন, "আমাদের বাড়ি পুড়ে যাচ্ছে।" এখন এই আগুন নেভাতে ব্রাজিলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন তারা। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনের এক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নেতারা এজন্যে অর্থনৈতিক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার কথাও ঘোষণা করেছেন। ফরাসী প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আমাজনের আগুন নেভাতে এই জোটের পক্ষ থেকে দুই কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। মি. ম্যাক্রোঁ জানান, অনতিবিলম্বেই প্রতিশ্রুত এই অর্থ সরবরাহ করা হবে। ফরাসী নেতা আরও বলেছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার দেশ সামরিকভাবেও ব্রাজিলকে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেছেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চল আবার কীভাবে গড়ে তোলা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রতি বছরই দাবানলের ঘটনা ঘটে কিন্তু এবারের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। আরো পড়তে পারেন: আমাজনের দাবানল: কতটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে অ্যামাজনের ধোঁয়া ঢেকে দিয়েছে বহুদূরের আরেক শহর অবৈধ খননে আমাজনের ক্ষতি মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান ব্রাজিলের অনেক জায়গাই এখন আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, তবে তার বেশিরভাগই আমাজনে। প্রতিবছরই দাবানলের ঘটনা ঘটে ব্রাজিলে। তবে এবারে এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য রকমের বেশি। মি. ম্যাক্রোঁ এই আগুনকে 'আন্তর্জাতিক সঙ্কট' বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং জি-সেভেন সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে এবিষয়ে কিছু করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষক এবং ইটালিতে ভেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: সৌর দাসগুপ্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ব্রাজিলে এখন শুষ্ক মওসুম চলছে এবং এবারের খরা মওসুম অন্যান্য বারের চেয়ে প্রকট। এজন্যে বাতাস কম, বৃষ্টি কম। ফলে দাবানল খুব বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।" এই আগুন নেভাতে ব্রাজিল সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বেই। অনেকেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ যে আগুনের কারণে আমাজন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেটা নেভাতে মি. বলসোনারো তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ব্রাজিল কী করছে? আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট বলসোনারো আগুন নেভাতে সামরিক বাহিনী নামানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় ৪৪ হাজার সৈন্য আমাজনের আগুন নেভাতে কাজ করবে। সাতটি রাজ্যে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টিও অনুমোদন করা হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমানও। অনেকেই ব্রাজিল সরকারের সমালোচনা করছেন আগুন নেভাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ায়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এজন্যে ব্রাজিলকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই খবরটি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো নিজেই। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন দেশ যখন অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেছে তখন তিনি তাদের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে তারা ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। আগুন নেভাতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে প্রস্তাবিত বাণিজ্য সমঝোতা বাতিল করার হুমকি দিয়েছিলেন। এই চুক্তিটির জন্য গত ২০ বছর ধরে আলোচনা চলছে। ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ব্রাজিল সরকার যদি যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে তারা ব্রাজিল থেকে মাংস আমদানিও নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। আগুনের ভয়াবহতা কতখানি? ব্রাজিলে শুষ্ক মওসুমে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৮৫% বেড়ে গেছে। তারা বলছে, এবছরেই ৭৫ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে এবং তার বেশিরভাগই ঘটেছে আমাজন অঞ্চলে। আগুন নেভাতে ব্রাজিল সরকারের 'দুর্বল' ভূমিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। পরিবেশ রক্ষায় যারা আন্দোলন করছেন তারা এসব অগ্নিকাণ্ডের সাথে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর পরিবেশ নীতিকে দায়ী করেছেন। অভিযোগ আছে যে ইচ্ছে করেই এই অরণ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাজন কেন গুরুত্বপূর্ণ আমাজন বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য যা প্রচুর কার্বন শুষে নেয়। সেকারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতেও সাহায্য করে এই অরণ্য। এর বেশিরভাগ এলাকাই বিস্তৃত ব্রাজিলে। কার্বন শুষে নিয়ে অক্সিজেন ছাড়ার কারণে এই অরণ্যটি পরিচিত 'পৃথিবীর ফুসফুস' হিসেবে। ড: সৌর দাসগুপ্ত বলেন, "দাবানলের কারণে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে যা শুধু ব্রাজিলের জন্যেই নয় আশেপাশের সব দেশগুলোর জন্যেও খুবই ক্ষতিকারক।" তিনি জানান কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কার্বন মনোক্সাইডের দূষণ প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত চলে গেছে। এখানে আছে ৩০ লাখেরও বেশি প্রজাতির গাছপালা ও বন্যপ্রাণী। আছে দশ লাখেরও বেশি আদিবাসী। ড. দাসগুপ্ত জানান, পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্যের দশ শতাংশ আসে এই আমাজন থেকে। আরো পড়তে পারেন: আরব বিশ্বের কাছে কাশ্মীরের চেয়ে ভারতের গুরুত্ব কেন বেশি খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে 'গোলাগুলিতে' তিন জন নিহত ডিসির সেক্স টেপ: কেন কর্মকর্তাদের খাস কামরা থাকে?
আগুনে পুড়ছে আমাজন: নেভাতে যা করা হচ্ছে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মাঠে অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর আগেও যে প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলটি নিয়ে, তা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তখনই বাংলাদেশ দলের খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। বিশ্বকাপে খারাপ ফলাফল করার ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের হার যেন প্রশ্নটিকে জোরালো করে। সেই ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা এবং পরে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের র‍্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি ঘটায়। এরপর সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে বাংলাদেশ। কিন্তু জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সর পর এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে বাংলাদেশ কি এখন পেছন দিকে হাঁটছে? ২০১৫ থেকে ২০১৬ ২০১৫ সালে ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই জয় পায় - ওই বছরই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারায়। পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান সিরিজ পর্যন্ত টানা ছয়টি সিরিজে জয় পায় বাংলাদেশ। এরপরের এক বছরেও কোনো সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। ক্রিকেটের কিছু খবর: বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিদ্বেষ কি শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই? টানা ৬ বার বোল্ড তামিম ইকবালকে বাদ দেয়ার সময় এসেছে? ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড কীভাবে কাজ করে? ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একটি দৃশ্য ২০১৭ থেকে ২০১৮ ২০১৬ সালে ৯টি ম্যাচ খেলে ৩টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আর এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৪টি ম্যাচে জেতে বাংলাদেশ। ওই সময়ের পর বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে আবারো। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আবারো সিরিজ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ও বাংলাদেশের মাটিতে দুবার হারিয়ে। তখন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়। এর মাঝে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ২০টি ম্যাচে ১৩টি জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৯ সাল ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শুধুমাত্র বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে সাফল্য পায়, যেখানে আয়ারল্যান্ড ও দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ তে হারে। বিশ্বকাপে ৯টি ম্যাচের মধ্যে মাঠে গড়ায় ৮টি, যেখানে ৩টি ম্যাচে জয় ও ৫টি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান বা বোলাররা সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২০১৯ সালে খেলা ১৮টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৭টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রাবণ্য তৌহিদা বাংলাদেশের একজন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে ২০১৫ থেকে ২০১৯ কোনো পরিবর্তন কি আসেনি বাংলাদেশ দলের? তিনি অবশ্য মত দেন যে একটি সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলকে বিবেচনা করাটা উচিৎ হবে না। তিনি বলেন, "ক্রিকেট অনেক সময় মোমেন্টামের খেলা। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খুব ভালো করেনি, এরপর সাকিব-মাশরাফী ছাড়াই শ্রীলঙ্কায় গেলো। তামিম ইকবাল নেতৃত্ব দিতে পারেনি। তাই সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ একটা দল হিসেবে খেলতে পারেনি।" শ্রীলঙ্কার ভালো করার বিষয়ে শ্রাবণ্য তৌহিদা বিশ্লেষন এ রকম যে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ম্যাচটি লাসিথ মালিঙ্গাকে উৎসর্গ করেছিল, ফলে শুরু থেকেই তারা ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটাররা ছুটিতে ছিল কিছুদিন, অন্যদিকে দল হিসেবে পরিকল্পনার অভাব ছিল এই সময়ে। "বাংলাদেশ বেশ বিবর্ণভাবে হেরেছে।" মিজ তৌহিদা মনে করেন, এটা প্রমান করে না যে বাংলাদেশ ২০১৫ সালের আগের সময়ে ফিরে গিয়েছে, কারণ হার-জিত থাকবেই ক্রিকেটে। নতুন কোচ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, আস্তে-ধীরে মোমেন্টামও ফিরে আসবে বলেন মনে করছেন তিনি। বিবিসি বাংলার আরো কিছু খবর: মারা গেলেন ইউটিউবের 'কিং অব র‍্যানডম' তারকা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে 'মারা গেছেন' বস্তি থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে আমেরিকা যাচ্ছেন সিয়াম
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান: জাতীয় দল কি পেছন দিকে হাঁটছে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বিভিন্ন অংশ টুকরো হয়ে গেছে (ফাইল ফটো) বাড়িতে একটা কঙ্কাল পাওয়া গেছে! দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে পানির লাইন মেরামতের জন্য যে মিস্ত্রি কাজ করেন ফোনকলটি ছিল তার। "ফোনে মিস্ত্রি আমাকে জানালো স্যার একটু নিচতলায় আসেন। সে আমাকে ফোনে কথাটা বলতে চায়নি। নিচে যাওয়ার পর যখন সে আমাকে বলল যে স্যার বাথরুমের ফলস ছাদের উপর মনে হয় একটা লাশ পাইছি। আমি বললাম ব্যাটা কি কস, পাগলের কথা।" কিন্তু তার কথাই সত্য হল। তবে পলিথিন, সিমেন্ট আর কংক্রিট দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় যা পাওয়া গেল তা একটি মানুষের কঙ্কাল। যার বিভিন্ন অংশ টুকরো হয়ে গেছে অথবা খুলে আলাদা হয়ে গেছে। সিনেমায় এমন দৃশ্য নানা সময় দেখা যায়। পুরনো বাড়ি থেকে বের হয় মরদেহ, কঙ্কাল অথবা মূল্যবান কোন বস্তু। মি. সরকার বলছেন, "আমার কপালে কঙ্কালটাই জুটল।" সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার নিচতলার ভাড়াটিয়া জানালেন যে বাথরুমে পানি আসছে না। "আমি আমার পার্মানেন্ট মিস্ত্রিকে বললাম বিষয়টা দেখতে। সে কয়েকদিন পরে সেখানে গেল। খুঁজে কোন সমস্যা না পেয়ে সে বাথরুমের উপরে ফলস ছাদে ওঠে। সেখানে পাইপ পরীক্ষা করতে গিয়ে দেয়াল ভাঙতে হয়েছে। সেই সময় বের হয়ে এলো প্লাস্টিকে মোড়ানো কিছু একটা।" মি. সরকার জানালেন তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। ঘটনার দিন পুলিশের প্রায় সবগুলো বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা সারারাত জুড়ে তার বাড়িতে এসেছে। পুলিশের উপস্থিতির পর যখন প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানলেন তখন তারাও ভিড় করতে লাগলেন হানিফ সরকারের বাড়িতে। এই অবস্থায় পাওয়া গেছে কঙ্কালটি। কঙ্কাল নিয়ে রহস্য মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাজিরুর রহমান বলছেন, তার কর্মজীবনে এযাবতকালে এমন রহস্যজনক অভিজ্ঞতা তার হয়নি। তিনি বলছেন, "লাশ সংরক্ষণ করার জন্য চা পাতা ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর পলিথিন দিয়ে সেটি মোড়ানো হয়েছে এবং সিমেন্ট, বালু, সুরকি দিয়ে সেটিকে চাপা দেয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।" তিনি বলছেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে কাজটি করেছে সে এই বিষয়ে বেশ দক্ষ। এই কঙ্কালটি নারী না পুরুষের, বয়স কত, কতদিন আগে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে, অথবা মৃত্যু হয়েছে সেসব কিছুই এখনো জানা যায়নি। মোঃ মোস্তাজিরুর রহমান বলছেন, কঙ্কালটি ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষা না করে বিস্তারিত জানা যাবে না। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কঙ্কাল নিয়ে কীভাবে চলছে বাণিজ্য অপরাধীরা কোন মানসিকতা থেকে বিকৃত অপরাধ করে থাকে হানিফ সরকার জানিয়েছেন বাড়িটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ১৯৯০ সালে। এর তিনবছর পর তিনিই নিচতলার প্রথম বাসিন্দা। বাড়ির উপরের অংশ তৈরি হয়ে গেলে তিনি উপরে উঠে যান। এরপর থেকে সেখানে মোট চারজন ভাড়াটিয়া উঠেছে। একজন ভাড়াটিয়া দীর্ঘদিন ছিলেন। তার পরিবার চলে যাওয়ার পর একবার ফ্ল্যাটটিতে সংস্কার কাজও করা হয়েছে। পুলিশ এখন ভাড়াটিয়াদের খোঁজ করে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কঙ্কালটির ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সেটি ভাড়াটিয়াদের পরিবার, কর্মচারী ও বাড়িওয়ালার পরিবার সবার সাথে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কঙ্কাল উদ্ধারের পর পুলিশ নিজে একটি হত্যা মামলা করেছে। তবে এত দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া, কর্মচারী, অতিথি সহ কত ধরনের মানুষ সেখানে এসেছেন। তাই এর তদন্ত বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেন তিনি। কঙ্কাল পরীক্ষা করে জানা যায় কতদিন আগে মানুষটির মৃত্যু হয়েছে। ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালার পিলে চমকে ওঠা অভিজ্ঞতা ছয়জনের পরিবার নিয়ে শ্যামল খান নিচতলায় ভাড়া উঠেছিলেন গত বছরের জানুয়ারি মাসে। দুটি ঘর, একটা বাথরুমের ফ্ল্যাটটি নিচতলায় হওয়াতে এমনিতেই বেশ অন্ধকার। তিনি বলছিলেন, "মাথার উপরে কঙ্কাল নিয়ে এতদিন আমি, আমার বাচ্চা ও পরিবার বাথরুম ব্যাবহার করছি। এখানে রাতে ঘুমাইছি ভাবলে গা ছমছম করে ওঠে।" শ্যামল খান বলছেন, এই ভয় তিনি ও তার পরিবার এখনো কাটাতে পারছেন না। কিন্তু ভয় নিয়েই অন্ধকার ফ্ল্যাটটিতে থাকতে হচ্ছে কারণ তদন্তের স্বার্থে বাড়িটি ছেড়ে তারা যেতে পারছেন না। অন্যদিকে বাড়ির মালিক হানিফ সরকার বলছেন, "আমার বাড়িতে একটা কঙ্কাল থাকতে পারে, আমার তো মাথায় ধরতেছে না বিষয়টা। জীবনে এরকম অভিজ্ঞতা হবে তাও ভাবিনি।" কঙ্কালের অবস্থা যা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলছেন, "নানা কারণে কঙ্কাল ক্ষয় হতে পারে। তার একটি হল সময়। অনেকদিনের পুরনো হলে সেটি ক্ষয় হবে। এছাড়া আগুনে পুড়ে অথবা অ্যাসিডে মৃত্যু হলেও কঙ্কাল দ্রুত ক্ষয় হয়। আবহাওয়াও একটা ফ্যাক্টর। কঙ্কাল পরীক্ষা না করে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।" তিনি বলছেন, কঙ্কাল পরীক্ষা করে জানা যায় কতদিন আগে মানুষটির মৃত্যু হয়েছে। একদম হুবহু না হলেও কাছাকাছি অনেক তথ্য বের করা সম্ভব। তিনি আরও বলছেন, সাধারণত একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির মরদেহ কঙ্কাল হতে মাস তিনেক সময় লাগে। তবে সেটিও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকলে প্রক্রিয়াটি তাড়াতাড়ি ঘটে। অন্যান্য খবর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ কি পিছিয়ে যেতে পারে? 'ওরা অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমি সম্ভ্রমটুকু রক্ষা করতে পেরেছি' শরীরের লোমের সাথে নারীর জটিল সম্পর্ক
ঢাকায় ভাড়াবাড়িতে একটি কঙ্কাল নিয়ে যত রহস্য
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের একটি সমাবেশে যোগ দেওয়া অন্তত তিনশো জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়ার পরে ওই ঘটনা কেন্দ্র করে ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যমের একটা অংশ এবং সামাজিক মাধ্যমে নানা মুসলিম বিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে নানা ভুয়ো খবর। করোনাজিহাদ বা নিজামুদ্দিন ইডিয়টস নামে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগও ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের মুসলমান নেতৃত্ব যদিও স্বীকার করছেন যে তাবলিগের ত্রুটি নিশ্চই হয়েছে, কিন্তু রাজধানীতে পুলিশ আর সরকারই বা কেন এই সময়ে ঐ সম্মেলন (মারকাজ) হতে দিল? দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের মারকাজে যোগ দিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়া কয়েকজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ প্রমাণিত হওয়ার পরে ভারতের গণমাধ্যমে ওই ঘটনা খুবই গুরুত্ব পেতে শুরু করে। ওই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য জাফরিয়াব জিলানি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "ভুল দুই তরফেই হয়েছে। ওই সমাবেশে যারা গিয়েছিলেন, তাদের উচিত ছিল নিজের থেকেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া এবং চিকিৎসকদের আর সরকারের পরামর্শ নেওয়া। কিন্তু উল্টোদিকে, সরকারই বা ব্যবস্থা নেয় নি কেন! সমাবেশটা তো হয়েছে যখন দেশে কোনও লকডাউন ছিল না, সেই সময়ে। তারপরে যারা ফিরতে পারে নি, লকডাউনের ফলে তাদের জন্য তো সরকারের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।" "এরকম একটা কঠিন সময়ে বিষয়টাকে যেভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে, সেটা একেবারেই কাম্য নয়। মুসলমানদের প্রায় সবাই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনেই চলছে, উলেমারা নির্দেশ দিয়েছেন জমায়েত না করতে," বলছিলেন জাফরিয়াব জিলানি। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী এবং রাজ্যের মুসলমান সমাজের অতি পরিচিত নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও একই প্রশ্ন তুলছেন যে তাবলিগ জামাত যদি ভুল করে থাকে সমাবেশ করে, তাহলে সরকার কী করছিল? "মার্কাজে নিজামুদ্দিনের পাশেই থানা আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ আছে দিল্লিতে। তারা কি সমাবেশে হাজির মানুষকে কোনওভাবে সচেনতন করেছিলেন? একবারও মাইকিং করেছিলেন এলাকায়? সেটা করলেই তো এরকম পর্যায়ে যেত না বিষয়টা! আবার মাওলানা সাদ সাহেবও কার সঙ্গে কী পরামর্শ করেছিলেন জানি না -ওদেরও একগুঁয়ে মনোভাব নেওয়াটা উচিত হয় নি। এরকম একটা ঘটনার ফলে গোটা দেশের মুসলমান সমাজকে একটা পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছেন তারা," বলছিলেন মি. চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও অনেকে গিয়েছিলেন ওই সমাবেশে। মি. চৌধুরী বলছিলেন, "কারা গিয়েছিলেন সেখানে, সেটা জানা গেছে। আমি বলব তারা নিজের থেকেই এগিয়ে এসে পরীক্ষা করিয়ে নিন। ডাক্তারি পরীক্ষা করানো ইসলাম বিরোধী কাজ তো নয়।" হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো অবশ্য তাবলিগ জামাতের সমাবেশ নিয়ে মুসলমান বিদ্বেষ ছড়ানোর তত্ত্ব খারিজ করে দিচ্ছে। উত্তর প্রদেশের একটি শহরে তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া লোকদের খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসের বাংলা পত্রিকা স্বস্তিকার সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বিবিসিকে বলেন, "এটা মুসলমান বিদ্বেষ কখনই নয়। তবে যেটা হয়েছে, সেটা তো ভয়াবহ। তাবলিগ জামাত যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এরকম একটা পরিস্থিতিতে বড় সমাবেশ করলেন তারা, সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লেন। এরকম একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ কী করে করলেন তারা? ধর্মান্ধতা আর পশ্চাদপদতা যে মানুষকে কোথায় টেনে নিয়ে যায়, কীভাবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন তারা, সেটাই প্রমাণ করল তাবলিগ জামাত।" ছড়িয়ে পড়ছে মুসলিম বিদ্বেষী ভুয়া ভিডিও, খবর মুসলমান বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে হিন্দু আর মুসলমান পক্ষের মধ্যে বিতর্কের মধ্যেই ওই ঘটনার পর মুসলমানদের লক্ষ্য করে নানা ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। ভুয়া খবর যাচাই করে দেখে, এমন একটি ওয়েবসাইট অল্টনিউজের সম্পাদক প্রতীক সিনহা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "নিজামুদ্দিনের ঘটনাটার পর থেকে এরকম অনেক ভিডিও আর পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেগুলোর টার্গেট মুসলমানরা।" "আমরা একটা ভুয়া ভিডিও খুঁজে পেয়েছি, যেখানে একদল মুসলমানকে থালা-বাটি চাটতে দেখা যাচ্ছে। বলা হয়েছে এভাবেই মুসলমানরা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা যাচাই করে দেখি যে ওটি আসলে বোহরা মুসলমানদের একটি রীতি - খাওয়ার পরে যাতে থালায় একটিও খাদ্যকণা অবশিষ্ট না থাকে, সেজন্য তারা চেটে পরিষ্কার করে দেন। দুদিন আগে আরেকটি ভিডিও আসে আমাদের কাছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি মসজিদের ভেতরে একদল মুসলমান কোনও একটা আওয়াজ বার করছেন। ভুয়ো পোস্টটিতে বলা হয় ওভাবেই হাঁচি দিয়ে নাকি মুসলমানরা করোনা ছড়াচ্ছে। অথচ এটি আসলে একটা সুফি আচার, যেখানে তারা শ্বাস-প্রশ্বাসের একটা অভ্যাস করেন - সেটাই তারা করছিলেন," বলছিলেন মি. সিনহা। করোনা ভাইরাস: শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর করোনাভাইরাস সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র তার কথায়, "এইসব ভুয়া ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য মুসলমানরাই দায়ী, এরকম একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।" মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে এক নারী চিকিৎসক ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর ওপরে ইঁটবৃষ্টি ও তাদের তাড়া করে এলাকা ছাড়া করার ঘটনাটির যে ভিডিও সামনে এসেছে, সেটির সত্যতা বিবিসি যাচাই করে দেখেছে। আবার হিন্দুদের বড়ো উৎসব রামনবমীর দিন বৃহস্পতিবার যে অনেক মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করেই মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছিলেন, সেই খবর আর ছবিও দিয়েছে পিটিআই সহ নানা সংবাদ এজেন্সি এবং গণমাধ্যম।
করেনাভাইরাস: তাবলিগ জামাতের ঘটনা নিয়ে ভারতে ইসলাম বিদ্বেষের বিস্তার
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
হুলেন লোপেতেগি: বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে বরখাস্ত। মি: লোপেতেগি বিশ্বকাপের পর রেয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে সম্মত হয়েছেন, এ'কথা জানাজানি হবার একদিন পরেই স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন তাকে বরখাস্ত করলো। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস বলেছেন, তাদের না জানিয়ে রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে তারা মিঃ লোপেতেগিকে বরখাস্ত করতে 'বাধ্য' হয়েছে। ফেডারেশনের মুখপাত্র জানান, রেয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন খেলোয়াড় ফারনান্দো ইয়েররোকে কোচ নিয়োগ করা হয়েছে। মিঃ লোপেতেগি ২০১৬ সালের জুলাই মাসে স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। এই অল্প সময়ে তার তত্ত্বাবধানে স্পেন ২০টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল - ১৪টিতে বিজয়ী আর ৬টিতে ড্র করেছে। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন যারা কাল বিশ্বকাপ: প্রস্তুত মস্কো? বিশ্বকাপ ২০১৮: কীভাবে টিটে ব্রাজিলকে বদলেছেন
বিশ্বকাপ ২০১৮: হঠাৎ হুলেন লোপেতেগিকে বরখাস্ত করার পর ইয়েররোকে কোচ নিয়োগ করেছে স্পেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কর্নাটকের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। তবুও বিজেপি যেমন ওই রাজ্যে সরকার গড়ার দাবি জানাচ্ছে, তেমনি কংগ্রেসও জানিয়েছে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দলকে সরকার গঠনে সমর্থন দিতে প্রস্তুত। কর্নাটক নির্বাচনে বিজেপির নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা না পাওয়াকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটার টান হিসেবে দেখছেন। পাশাপাশি পর্যবেক্ষকরা অনেকেই বলছেন, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঠিকমতো ঐক্য হলে ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন যে বিজেপির জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে, কর্নাটকের ফলাফল তা প্রমাণ করে দিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের একমাত্র যে রাজ্যটিতে বিজেপি একদা ক্ষমতায় ছিল, সেই কর্নাটকের নির্বাচনে আজ প্রায় সারাদিনই তারা গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১২টি আসনের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেছে, কিন্তু মঙ্গলবার দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে, তাদের সম্ভবত পাঁচ-সাতটি আসন কম পড়বে। তবে তার অনেক আগেই অবশ্য কর্নাটক থেকে কংগ্রেসকে হঠিয়ে বিজেপি তাদের 'কংগ্রেস-মুক্ত ভারত' গঠনের লক্ষ্যে এক ধাপ এগোনোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি যেমনটা এর মধ্যেই বলেছেন - কংগ্রেস এখন শুধু পাঞ্জাব, ক্ষুদ্র রাজ্য পন্ডিচেরী আর গান্ধী পরিবার - এই তিন 'পি'তেই সীমাবদ্ধ থাকবে।" আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারকে আগলে রাখছে চীন? যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ নাকবা দিবসে গাজায় আরও সহিংসতার আশঙ্কা রোজা: ছয়টি অতি পরিচিত ভুল ধারণা উড়ন্ত বিমানে ঝুলন্ত পাইলট পরে বিকেলের দিকে জনতা দল (সেকুলার)-কে সমর্থন করে কংগ্রেস বিজেপিকে ঠেকানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কর্নাটকের হার যে দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তা দলের শীর্ষ নেতারাও প্রকারান্তরে মানতে বাধ্য হচ্ছেন। পাঞ্জাবের কংগ্রেস মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু যেমন বলছেন, "জরুরি অবস্থার সময়ই অনেকে বলেছিলেন কংগ্রেস এবার শেষ। কিন্তু এত বছরের পুরনো একটা দল, গান্ধী-নেহরুর দল কীভাবে শেষ হতে পারে?" কর্নাটকের নির্বাচনে বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রচারণা। তবে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর একমাত্র রাস্তা যে এখন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধা, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিও টুইট করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস যদি জনতা দলের সঙ্গে ভোটের আগেই সমঝোতা করত, ভোটের ফল সম্পূর্ণ অন্যরকম হত। তার দলের এমপি সুখেন্দুশেখর রায়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কর্নাটক থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলো কি আগামী বছরের ভোটের আগে জোট বাঁধতে পারবে? বিবিসিকে মি. রায় বলেন, "নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না, কিন্তু পলিটিক্স হল আর্ট অব পসিবিলিটি। কাজেই বিষয়টা নির্ভর করবে বিরোধী দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। কর্নাটকে এখন যে টালমাটাল অবস্থা চলছে, ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে - সে সব কিছুই দরকার হত না যদি কংগ্রেস জনতা দলের সঙ্গে ভোটের আগেই সমঝোতা করত।" "এখন সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেস যদি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেও আঞ্চলিক বিরোধী দলগুলোকে যার যেখানে প্রাধান্য তাকে সেখানে গুরুত্ব দিয়ে একটা প্রাক-নির্বাচনী সমঝোতার উদ্যোগ নেয়, তাহলে বিরোধীদের জন্য কিন্তু দারুণ ইতিবাচক ফল আসতেই পারে," বলছিলেন মি. রায়। তবে মাস-কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাটে যেভাবে বিজেপির আসন কমেছে ও এখন কর্নাটকেও যেভাবে তারা হোঁচট খেল, তাতে প্রবীণ কংগ্রেস এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করছেন নরেন্দ্র মোদি যে অপরাজেয় নন সেটা এখন প্রমাণিত। মি. ভট্টাচার্য বলছিলেন, "একটা সময় যে ভাবা হচ্ছিল নরেন্দ্র মোদিকে ছাড়া বোধহয় ভারতবর্ষ চলবে না, আজ কিন্তু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মোদি ক্রমাগত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছেন। ২০১৯ সালে তাকে বিরোধীরা হারিয়ে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।" কিন্তু কংগ্রেসের নিজের অবস্থাই যেখানে বেহাল, সেখানে মোদি তথা বিজেপিকে সেই চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দেবেন কে? "না, বিষয়টা একা শুধু কংগ্রেসের নয়। যে বিরোধী দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে, তার জন্য তাদের সঙ্গে এখন থেকেই কংগ্রেসকে নির্বাচনী সমঝোতা আর আসন-রফার কাজ শুরু করে দিতে হবে বলে আমি মনে করি," বলছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। এটা ঠিকই যে ভারতে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা দেশে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছিল, তার পরেও বিপুল গরিষ্ঠতা পেতে তাদের কোনও অসুবিধা হয়নি - কারণ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কোনও ঐক্য ছিল না। কর্নাটকে বিজেপির সদর দপ্তরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড়। ২০১৯ সালে কিন্তু বিরোধী দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হতেই পারে, বলছেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়। তার কথায়, "১৯৭৭ ও ১৯৮৯ সালেও কিন্তু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারতের তখনকার সব বিরোধী দল একজোট হয়েছিল। জনসঙ্ঘের মতো দল তো সাতাত্তরে নিজের নাম-প্রতীক মুছে ফেলে জনতা দলের সঙ্গে মিশে যেতেও দ্বিধা করেনি। একইভাবে স্বতন্ত্র পার্টি, ভারতীয় কিষাণ দলও নিজের অস্তিত্ব মুছে ফেলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইতে সামিল হয়েছিল "কাজেই অতীতে যে জিনিস বারে বারে ঘটেছে, তা কেন ভবিষ্যতে আবারও ঘটবে না?", বলছেন মি রায়। কর্নাটকে শেষ পর্যন্ত কারা সরকার গড়বে, সেই উত্তর জানতে সম্ভবত আরও দিন-কয়েক অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ওই রাজ্যের ফলাফল যে বছর-খানেক বাদে সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশের শাসক ও বিরোধী, উভয় শিবিরেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে, তাতে কোনও সংশয় নেই।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কপালে কেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলল কর্নাটক নির্বাচনের ফলাফল?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
দ্রুত শনাক্ত করা গেলে ক্যান্সারের চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজের ক্যান্সার গবেষকেরা দেখতে চান, কেবলমাত্র নিঃশ্বাসের অনুসমূহ পরীক্ষা করে কয়েক ধরণের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তরা যায় কি না। এই পদ্ধতি যদি সফল হয়, তাহলে চিকিৎসকেরা শুরুতেই নির্ধারণ করতে পারবেন ঐ রোগীর আরো বিশদ পরীক্ষানিরীক্ষার দরকার আছে কি না। গবেষকেরা এজন্য তারা পনেরশ' মানুষের নিঃশ্বাসের নমুনা সংগ্রহ করবেন, এর মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন। নিঃশ্বাস ছাড়াও এজন্য একজন ব্যক্তির রক্তক ও মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমেও ক্যান্সার প্রাথমিক ধাপেই শনাক্ত করা যাবে। এর ফলে ক্যান্সারে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেকটা কমে যাবে। তবে, এই পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে, চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরীক্ষা জেনারেল ফিজিসিয়ানের মত সাধারণ জায়গায় হবার সম্ভাবনা কম। কীভাবে কাজ করবে এই পরীক্ষা মানুষের শরীরের কোন কোষে কোন রকম প্রাণ-রসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে সেটি নিঃশ্বাসে ভোলাটাইল অরগ্যানিক কমপাউন্ডস নামে এক ধরণের অনু নিঃসৃত হয়। আরো পড়ুন: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেলে কি ক্যান্সার হয়? নব্বই সেকেন্ডে ক্যান্সারে কেমোথেরাপি কতটা কাজে লাগে? কীভাবে বাঁধাকপি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে যে সংকোচ সফল হলে এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক আগে ক্যান্সার শনাক্ত করা যাবে কিন্তু যদি তাতে ক্যান্সার বা অন্য কোন রোগের আভাস থাকে, তাহলে কোষের স্বাভাবিক ধরণে পরিবর্তন আসে এবং ভিন্ন ধরণের অনু তৈরি করে এবং গন্ধের মাধ্যমে ভিন্ন বার্তা পাঠায় মস্তিষ্কে। নিঃশ্বাসের বায়োপসি করার মধ্য দিয়ে নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে মুখের গন্ধের এই প্রক্রিয়াটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গবেষক দল। এই পরীক্ষা সফল হবার সম্ভাবনা কতটা? নতুন এই পদ্ধতি মাত্র পরীক্ষা করে দেখা শুরু হয়েছে। ফলে এর সফলতা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে হলে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তবে, যে পদ্ধতির মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে নতুন নয়। কয়েক বছর যাবত পৃথিবীর অনেক গবেষকই বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন। ইতিমধ্যেই নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে ক্যান্সারের আগের ধাপ শনাক্তে কিছুটা অগ্রগতিও দেখা যাচ্ছে। কাদের ওপর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে? ইতিমধ্যেই যেসব মানুষের পাকস্থলীতে ক্যান্সার হবার পর প্রোস্টেট, কিডনী, ব্লাডার, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসে তা ছড়িয়ে পড়েছে, এমন মানুষের একটি অংশ এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তবে, এদের বাইরেও সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষেরা অংশ নিচ্ছেন এই গবেষণায়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় ম্যাসটেকটোমি বা স্তন কেটে ফেলা কতোটা জরুরি এছাড়া ক্যামব্রিজের অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালের ডাক্তারেরা রোগীদের একটি মুখোশের মধ্যে ১০ মিনিট ধরে নিঃশ্বাসের নমুনা দেবার অনুরোধ করেছেন, যাতে সেটা গবেষণার কাজে লাগানো যায়। গবেষকেরা বলছেন, ক্যান্সার যত দ্রুত শনাক্ত করা যায় তত মঙ্গল, তাতে চিকিৎসা শুরু করা যায় তাড়াতাড়ি। ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় কি কমবে? এক অর্থে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় কমবে। কারণ কারো শরীরে যদি ক্যান্সারের আভাস পাওয়া যায়, আর সেটি আগে থেকে শণাক্ত করা যায়, তাহলে খুব দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু করা যাবে। এছাড়া একটি মাত্র পরীক্ষা কিংবা খুব সাধারণ পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে, সেটি পরবর্তী ধাপগুলোতে সাশ্রয় সম্ভব হয়। এর আগে গত বছর জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করে চিকিৎসা দেবার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। ঐ পরীক্ষায় ৫০০ ডলারের মতো খরচ হবে। কিন্তু তার তুলনায় এই পরীক্ষাতে খরচ কম হবে কি না তা এখনো জানা যায়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে যা বললেন তোফায়েল আমু, তোফায়েল, মেনন, ইনুসহ বাদ পড়লেন যারা কেন জানুয়ারির প্রথম সোমবার পরিণত হয় বিচ্ছেদের দিনে? ভারত ও চীনের সাথে কিভাবে ভারসাম্য করছে সরকার ক্যান্সার সেল ক্যান্সারের লক্ষণ মানুষের যত রকম ক্যান্সার হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীর সে সম্পর্কে কোন না কোন পূর্বসংকেত দেয়। কিছু লক্ষণ দেখে আপনি সন্দেহ করতে পারবেন যে আপনার দেহে হয়তো ক্যান্সার হয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন সেই সংকেত মূলত সাতটি। • কোন বিশেষ কারণ ছাড়াই হঠাৎ শরীরের ওজন কমতে শুরু করেছে। • হজম ও মল-মূত্র ত্যাগের অভ্যাসে কোন ধরনের পরিবর্তন হওয়া। যেমন ডাইরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য। যেমন আপনার হয়ত কোষ্ঠকাঠিন্য নেই কিন্তু সেটিই হচ্ছে ইদানীং। অথবা পাতলা পায়খানা। • সারাক্ষণ জ্বর বা খুসখুসে কাশি যা ঠিক যাচ্ছেই না। • শরীরের কোথাও কোন পিণ্ড বা চাকার উপস্থিতি। • ভাঙা কণ্ঠস্বর যা কোন চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না। • তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তন। • শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। মোটা দাগে এই উপসর্গ বা শরীরের সংকেতের কোন একটি যদি দু থেকে তিন সপ্তাহ ধরে থাকে আর সেগুলোর সাধারণ চিকিৎসায় না কমে যায় - তবেই ক্যান্সার শব্দটি মাথায় রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্তের পদ্ধতি যেভাবে কাজ করবে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে অরাজক পরিস্থিতির আশংকা থেকেই যাচ্ছে বিএনপি বিহীন বিতর্কিত ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে গঠিত সরকারের শেষ বছরে এসে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনী এ বছরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যে, "কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে। আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণ অশান্তি চান না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন- এটা আর এ দেশের জনগণ মনে নিবেন না।" বিএনপি মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কোনো সমঝোতার ইঙ্গিত নেই। নেতারাও বলে আসছেন আরেকটি ৫ই জানুয়ারির মতো নির্বাচন তারা হতে দেবেন না। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, "এই সহিংসতা বা আগুন সন্ত্রাস বা অন্য ঘটনাগুলো যেগুলো বলা হয়, সেগুলোকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে আনতে হবে। রাজনীতিকে আজকে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবাহিত করতে হবে। এবং সেটা করার জন্য বিএনপি একক নয় তার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। যে জাতীয় ঐক্যে সরকারকেও ভূমিকা রাখতে হবে।" এদিকে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে পরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ভাঙচুরকে ক্ষমতাসীন দল প্রতিনিয়ত বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা কোনো সংকট সৃষ্টি না হলে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা বা সমঝোতার কোনো প্রয়োজন মনে করছেন না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক সংকট হতেই পারে কিন্তু সেটি মোকাবেলায় তারা রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন। "আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারা সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং তাদের সক্ষমতাও অনেক বেশি এখন। তার সাথে আমরা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা রাজনৈতিকভাবেই এগুলো মোকাবেলা করবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা যতই হুমকি দিক তারা কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে না। দেশে নির্বাচন অবশ্যই হবে"। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন এখনো সময় আছে এবং সংঘাত এড়াতে এখন সরকারের দায়িত্বই বেশি বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন যে কোনো সংকট এড়াতে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকেই ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন এখনো সময় আছে এবং সংঘাত এড়াতে এখন সরকারের দায়িত্বই বেশি। "২০১৪ সালের অভিজ্ঞতা আমাদের খুবই তিক্ত। এতগুলি মানুষ প্রাণ হারালো। একটা বাসের মধ্যে ২৯ জন মানুষ মারা গেল। কত মানুষের প্রাণ নষ্ট হলো। এটা কি আসলে উচিৎ? একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থান আমাদের দরকার।" প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নির্বাচনী বছরে অরাজকতার আশঙ্কা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, "একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের ওপরই বর্তায়। সুতরাং সেই সরকারের প্রধান হিসেবে উনি (প্রধানমন্ত্রী) চিন্তা করতে পারেন যে, এই অরাজকতা ঠেকাতে আমার সরকারের কী করা উচিৎ? এবং একটা সমঝোতায় পৌঁছানোর একটা চেষ্টা উনি করতে পারেন বলে আমি মনে করি। সেটা দেশের জন্য উপকার হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এ বছর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু হবে নির্বাচন? গণতন্ত্রে কী প্রভাব রাখলো ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশে নারীর জন্য রাজনীতি কতটা সহজ? ১/১১: পর্দার আড়ালে কী ঘটেছিল? রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বলছে জ্বালাও পোড়াও হলে জনগণ মানবে না আর বিএনপিও বলছে জনগণ বিতর্কিত নির্বাচন মানবে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোনোভাবেই চাননা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কোনো সংঘাত বা সহিংসতা হোক। পুরো প্রতিবেদনটি আমাদের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখতে পারেন:
বাংলাদেশে নির্বাচনী বছরে 'অরাজক পরিস্থিতি'র আশঙ্কা কেন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিশ্ববিদ্যালয়েই নতুন অফিস পেয়েছেন ডঃ গুডাল তাকে কাজ করতে হবে বাসায় বসে। কারণ সহকর্মীরা কর্মস্থলে তার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছিল যে বয়সের কারণে তাঁর জন্য অফিস থেকে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং সে জন্য গবেষণার কোনো কাজ করতে চাইলে তা তাকে বাসায় বসেই করতে হবে। ডঃ গুডাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহযোগী হিসাবে কাজ করেন - তবে বিনা বেতনে। এটা একটা সাম্মানিক পদ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী এবং ৭০ বছরের বিজ্ঞানী জীবনে পরিবেশ বিষয়ে তিনি শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন। ডঃ গুডাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মোটেই মানতে রাজি হননি। এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন গত কয়েক মাস এবং কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত তাঁর যুক্তি মেনে নিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য একটি ক্যাম্পাসে তাকে কাজ করার জায়গা করে দিয়েছে। ডঃ গুডাল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী যিনি এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চান্সেলার বিবিসিকে বলেছেন, ডঃ গুডালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর উপযুক্ত একটি অফিস দিতে পেরে আমরাও সন্তুষ্ট। ডঃ গুডালও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, "আশা করি আমি আরও অনেকদিন আমার কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে আমার দৃষ্টিশক্তি কতটা ভাল থাকে তার ওপর।" তিনি বলেছেন, "বিষয়টা নিরাপত্তার নয়, ওরা অহেতুক আমার নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছিল।" ডঃ গুডাল শখে নাটকও করতেন। কিন্তু সম্প্রতি গাড়ি চালিয়ে তিনি মহড়ায় যেতে অপারগ হয়ে পড়ায় নাটকে অংশ নেওয়াও তাকে ছাড়তে হয়েছে। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজও তিনি ছাড়তে মোটেই রাজি ছিলেন না। আরও পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্পই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়া কি পারবে বার্মার উপর চাপ তৈরি করতে?
কাজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতলেন ১০২ বছরের বৃদ্ধ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
অবশেষে বিয়ে: ২৫ বছরের প্রেমের পর তারপর অনেক সময় গড়িয়েছে। নিজের শহর ছেড়ে মেসি চলে গেছেন অন্য একটি দেশের অন্য একটি শহরে। হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। কিন্তু তারপরেও এতো দীর্ঘ সময় তাদের প্রেম অক্ষুণ্ণ ছিলো। এরই মধ্যে তাদের দুটো সন্তানও হয়েছে। আরো পড়ুন: গুলশান হামলার এক বছর: যেভাবে কেটেছিল ভয়াল সেই রাত হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার এক বছর: এখনো শঙ্কা কাটেনি অবশেষে সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের বিয়ের কাজটাও সেরে ফেললেন। মেসির নিজের শহর রোসারিওর একটি বিলাসবহুল হোটেলে বেশ ঘটা করেই বিয়ের এই অনুষ্ঠান হয়েছে। এবং বলা হচ্ছে, "এটি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে।" মেসির বয়স এখন ৩০ আর স্ত্রী রোক্কুসুর ২৯। কয়েকজন অতিথি ফুটবলার জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ২৬০ জন। তাদের মধ্যে ফুটবল স্টারসহ অন্যান্য সুপরিচিত নামী দামী ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ খেলোয়াড় লুইস সোয়ারেজ, নেইমার, জেরার্ড পিকে এবং তার স্ত্রী, কলম্বিয়ার পপ স্টার শাকিরা। অতিথিদের অনেকে তাদের ব্যক্তিগত জেট বিমানে করেও আসেন বিয়েতে যোগ দিতে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে কয়েকশো পুলিশও মোতায়েন করতে হয়েছিলো। আর্জেন্টিনার একটি পত্রিকায় এই বিয়েকে 'বর্ষসেরা বিবাহ', "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে' বলেও উল্লেখ করেছে। অতিথিদের অনেকে আসেন তাদের ব্যক্তিগত বিমানে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেখতে লোকজন বিমানবন্দর ও হোটেলের আশেপাশেও ভিড় করেছিলো। তাদেরকে সামাল দিতে নিরাপত্তা সদস্যদেরকে হিমশিম খেতে হয়েছে। দেড়শোর মতো সাংবাদিককেও এক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছিলো। তাদের জন্যে নির্ধারিত ছিলো বিশেষ একটি প্রেস এরিয়া। অনুষ্ঠানের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি তাদেরও ছিলো না। হবু স্ত্রী রোক্কুসু মেসির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর কাজিন। তার ওই বন্ধুও পরে ফুটবলার হয়েছিলেন। রোক্কুসুর সাথে পরিচয়ের পর মেসি ১৩ বছর বয়সে স্পেনে চলে যান। কারণ তিনি বার্সেলোনায় খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু শর্ত ছিলো যে এজন্যে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবটিকে মেসির হরমোন-জনিত চিকিৎসার খরচ যোগাতে হবে। এর আগে মেসি অনেকবারই বলেছেন, তার প্রেমিকা ও সাবেক ফুটবল ক্লাবকে পেছনে ফেলে তার স্পেনে চলে আসতে কতোটা কষ্ট হয়েছিলো। ভক্তদের ভিড় বিয়ের আগে থেকেই এই যুগল একই ছাদের নিচে বসবাস করছিলেন এবং বার্সেলোনা শহরেই। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ২১ মাসের সাজা হওয়ার কয়েকদিন পরেই মেসি বিয়ে করলেন। ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন মেসি। কিন্তু তার সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে জেলে যেতে হবে না। কারণ জরিমানার অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে তিনি সেই সাজা এড়াতে পারবেন। মাঠে মেসির প্রেমিকা ও দুই সন্তান
মেসির ২৫ বছরের প্রেমের পর 'শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিবিসিকে বলেছেন, খেতাব বাতিলের সুপারিশের ব্যাপারে দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত মঙ্গলবার সরকারের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক বৈঠকে খেতাব বাতিলের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনসহ নানা অভিযোগ থাকায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ পরিচয় হঠাৎ লক্ষ্যবস্তু কেন শেখ মুজিব হত্যার পর জেনারেল জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন এর নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যে বৈঠকে, সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক। কিন্তু মন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও বলা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত সুপারিশ হিসাবে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে এবং প্রয়োজনে মন্ত্রীসভাতেও বিষয়টা যেতে পারে। আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রধান এবং একই সাথে তিনি সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করছে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। তিনি উল্লেখ করেছেন, এখন দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। "তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন দূতাবাসে তাদের পদায়ন করেছেন। এবং মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, তাদের নিয়ে তিনি মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে ধর্ম নিরপেক্ষতা ছিল, তা তিনি বাতিল করেছেন। সেজন্য তার খেতাব বাতিল করা হয়েছে" মি: হক বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার যে অভিযোগ সরকার করছে, তা নিয়ে কোন মামলা হয়নি বা কোন আদালতে বিচার হয়নি-তাহলে কিসের ভিত্তিতে খেতাব বাতিলের কথা বলা হচ্ছে? এই প্রশ্নে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, "আইনের নিয়ম হচ্ছে, যখন কেউ মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুর পর কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কোন রায় হয় না।" তিনি আরও বলেছেন, "যেহেতু জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন, তাই আদালত তাকে কোন শাস্তি দিতে পারে না। এটা আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত বিধান।" জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সরকারি কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা ঢাকার পল্টন এলাকায় মিছিল সমাবেশ করেছেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখান থেকে টেলিফোনে বলেছেন, দেশের এখনকার পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য সরকার এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে। এ সরকারের যে অপকর্ম এবং দুর্নীতির যে চিত্র বেরিয়ে আসছে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে এটা করা হচ্ছে।" মি: আলমগীর আরও বলেছেন, "শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না, তিনি দীর্ঘ নয় মাস দেশের ভেতরে থেকে লড়াই করেছেন।" সেনা শাসক হিসেবে ক্ষমতায় এসে পরে বিএনপি গঠন করেন জিয়াউর রহমান বিএনপি নেতা মি: আলমগীর উল্লেখ করেছেন, "বীর উত্তম খেতাব তিনি (জিয়াউর রহমান) পেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই তাকে খেতাব দিয়েছিল। এখন সরকারের সেই খেতাব বাতিলের উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো।" তবে বিএনপির বক্তব্য মানতে রাজি নয় সরকার। মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কোন রাজনৈতিক চিন্তা থেকে বা কোন পরিস্থিতির কারণে খেতাব বাতিলের বিষয়টি আনা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, "ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য নয়, ইতিহাসের স্বচ্ছ্বতা প্রতিষ্ঠার জন্যই এবং ঐতিহাসিকভাবে যা সত্য, তা প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।" মি: হক বলেছেন, "তিনি (জিয়াউর রহমান) যদি প্রমাণিত হন যে তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত নন, তাহলে হয়তো ব্যবস্থা হবে না। তবে তিনি জড়িত মর্মে আলোচনায় যা উঠে এসেছে, তাতে তার জড়িত থাকার বিষয়টিই প্রমাণ হয়। যাই হোক তারপরও আমরা দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো," তিনি বলেন। এদিকে, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের মঙ্গলবারের ঐ বৈঠকে খোন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য 'স্মরণীয় বরণীয়' ব্যক্তি হিসেবে যে রাষ্ট্রীয় তালিকায় আছে, সেখান থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া শেখ মুজিব হত্যা মামলায় পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুল হক ডালিমসহ চার জন আসামীর মুক্তিযুদ্ধের খেতাবও বাতিল করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের সুপারিশ নিয়ে কী বলছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ম্যাথিউর বয়স এখন ১৩। সে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছে। ম্যাথিউ নামের এই বালকের বয়স যখন আট বছর তখন তার মা ও সৎ পিতা তাকে সিরিয়াতে নিয়ে গিয়েছিল। এর দু'বছর পর সেখানে তৈরি করা ভিডিওতে সে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে বলতো আমেরিকার মাটিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে। এখন তার বয়স ১৩। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাকে ২০১৮ সালে দেশে ফিরিয়ে আনে এবং তার পর থেকে গত এক বছর ধরে সে তার পিতার সাথে বসবাস করছে। এই প্রথম সে কোন সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছে। বিবিসিকে ম্যাথিউ বলেছে, "যা হওয়ার হয়ে গেছে। এগুলো সব পেছনের ঘটনা। আমার বয়স তখন এতো কম ছিল যে আমি এসবের কিছুই বুঝতাম না।" যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর তাকে কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হয়েছে। ম্যাথিউর সৎ পিতা মুসা এলহাসানি ২০১৭ সালে ড্রোন হামলায় মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়। তার মা সামান্থা স্যালিকে সন্ত্রাসবাদের অর্থ যোগান দেওয়ার দায়ে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মা সামান্থা স্যালি, সৎ পিতা মুসা এলহাসানির সাথে ম্যাথিউ। যেভাবে সিরিয়াতে যায় পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আমেরিকার সাধারণ এই পরিবারটি তুরস্ক হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলে যায়। "আমরা অন্ধকারের মধ্যে দৌড়াতে থাকি। রাতের বেলা। অনেক জায়গাতেই কাঁটাতারের বেড়া ছিল। অনেক কিছুই আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমাকে দৌড়াতে হচ্ছিল," বিবিসিকে বলে ম্যাথিউ। এক সময় তারা গিয়ে পৌঁছায় ইসলামিক স্টেটের তথাকথিত রাজধানী রাক্কা শহরে। তার সৎ পিতা এলহাসানিকে পাঠানো হয় সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি আইএসের চোরাগোপ্তা হামলাকারীতে পরিণত হন। "আমরা যখন রাক্কা শহরে গিয়ে পৌঁছলাম প্রচুর আওয়াজ শুনতে পেতাম, সাধারণত গোলাগুলির শব্দ। একবার বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো, কিছুটা দূরে। সে কারণে আমাদের তেমন একটা দুশ্চিন্তা ছিল না।" ম্যাথিউর ভিডিও সিরিয়াতে চলে যাওয়ার দু'বছর পর তার মা অর্থ চেয়ে আমেরিকায় তার এক খালার কাছে একটি ইমেইল পাঠাল। এসব ইমেইলে ম্যাথিউর মারাত্মক ধরনের কিছু ভিডিও সংযুক্ত করা হতো। একটি ভিডিওতে দেখা গেল এলহাসানি ম্যাথিউকে আত্মঘাতী বেল্ট পরতে জোর করছে। তার সৎ পিতার নির্দেশনায় তাকে বলতে শোনা গেল বিস্ফোরক দিয়ে সে কীভাবে আমেরিকার সৈন্যদের হত্যা করবে। আরো পড়তে পারেন: অনলাইনে ইসলামিক স্টেটের বিশাল গোপন তথ্যভান্ডার আইএসের হাজার হাজার বিদেশী জিহাদির পরিণতি কি বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট ম্যাথিউকে যখন সিরিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল ৮ বছর। আরেকটি ভিডিওতে তাকে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে প্রস্তুত হতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী যখন রাক্কা শহরে বিমান হামলা জোরদার করলো একদিন তাদের কাছের একটি বাড়ি বোমা পড়ে বিধ্বস্ত হল। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে রাক্কা মোটামুটি একটি বিধ্বস্ত শহরে পরিণত হল। কিন্তু ইসলামিক স্টেট তখনও দাবি করে যাচ্ছিল যে যুদ্ধে তারাই জয়ী হচ্ছে। তখন ম্যাথিউকে বাধ্য করা হল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে এরকম বার্তা দিয়ে ভিডিওতে বক্তব্য রাখতে। ইসলামিক স্টেট তখন একটি ভিডিও ছাড়ল যাতে দেখা গেল ম্যাথিউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুমকি দিচ্ছে। "ট্রাম্পের প্রতি আমার বার্তা: তিনি ইহুদিদের পুতুল। আল্লাহ আমাদেরকে জয়ী আর তোমাদের পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছেন," ম্যাথিউ বললো এই কথাগুলো তাকে মুখস্থ করানো হয়েছিল। "রাক্কা কিম্বা মসুলে এই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। এই যুদ্ধ শেষ হবে তোমাদের মাটিতে। ফলে প্রস্তুত হও। যুদ্ধ মাত্র শুরু হয়েছে।" ম্যাথিউ বলে এই ভিডিওতে অংশ নেওয়া ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প ছিল না। না হলে তার সৎ পিতা রাগে ফেটে পড়তেন। "তিনি মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না।" এর কিছুদিন পর এলহাসানি ড্রোন হামলায় নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। "আমি খুশি হয়েছিলাম কারণ আমি তাকে পছন্দ করতাম না। আমরা সবাই আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম।" মা সামান্থা স্যালি। সিরিয়া থেকে যেভাবে পালাল ম্যাথিউর মা সামান্থা স্যালি তখন মানব পাচারকারীদের অর্থ দিয়ে চার সন্তানকে সাথে নিয়ে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। একটি ট্রাকে করে আইএসের তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার সময় ট্রাকের পেছনে রাখা ব্যারেলের ভেতরে ম্যাথিউকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কুর্দিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গিয়ে পৌঁছানোর পর তাদেরকে একটি বন্দী শিবিরে আটক করে রাখা হল। সেসময় মা স্যালির সঙ্গে প্রথম কথা বলতে পেরেছিল বিবিসি। তখন তিনি বলেছিলেন যে তার স্বামী তাকে ধোঁকা দিয়ে সিরিয়াতে নিয়ে গেছে। স্বামীর পরিকল্পনার বিষয়ে তার কোন ধারণা ছিল না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন রাক্কায় থাকার সময় একবার তার স্বামী তার উপর সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। স্যালি জানান, দাস হিসেবে তারা দুটো ইয়াজিদি কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী তাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। দেশে ফিরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর কারাগারে থাকার সময়েও স্যালি একই ধরনের কথা বলে গেছেন। যদিও স্যালি বলেছেন যে তিনি তার স্বামীকে সমর্থন দিয়েছেন মাত্র। তিনি মনে করেন স্বামীকে সমর্থন দিয়ে আইএসে যোগ দেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই। কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে অন্য ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। মুসা এলহাসানি পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে আসার কয়েক মাস আগে থেকেই স্যালির স্বামী মুসা আইএসের সমর্থক ছিলেন। বাড়িতে বসেই তিনি আইএসের প্রচারণা-ধর্মী নানা রকমের ভিডিও দেখতেন। সামান্থা স্যালির একজন বন্ধুও বলেছেন যে স্যালি একবার তাকে বলেছিলেন যে তার স্বামী তাকে জানিয়েছিলেন "পবিত্র যুদ্ধে" যোগ দেওয়ার জন্য তার কাছে ডাক এসেছে। ম্যাথিউ এখন তার পিতা জুয়ানের সাথে বসবাস করে। তারা মাছ ধরতে বের হয়েছে। বিবিসি আরো জানতে পেরেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে আসার আগে স্যালি বেশ কয়েকবার হংকং গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কমপক্ষে ৩০ হাজার ডলার নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ জমা রেখেছিলেন। জেলখানায় প্রায় এক বছর থাকার পর স্যালি তার গল্প বদলাতে শুরু করেন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগান দেওয়ার দায় স্বীকার করে নেন। ধারণা করা হচ্ছে, সাজা কমানোর উদ্দেশ্যে তিনি এই অপরাধের কথা স্বীকার করেন। সরকারি আইনজীবীরা বলছেন তার স্বামীর আইএসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে স্যালি কেন সাহায্য করেছিলেন তার উত্তর হয়তো কখনোই জানা যাবে না। কিন্তু স্যালির আইনজীবী বলেছেন তার স্বামী তাকে সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সে কারণে তিনি এটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইসলামিক স্টেটের আনুগত্য স্বীকারকারী এই দশজন কি বাংলাদেশি
ইসলামিক স্টেট: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আইএসের ভিডিওতে হুমকি দিত যে আমেরিকান বালক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
প্রতিবছর ঈদের সময়ে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এর মধ্যে ঈদ উল ফিতরের আগে বাজারে এসেছে ২২-২৫ হাজার কোটি টাকা আর কয়েকদিন পর ঈদ উল আযহার আগে আসবে আরও অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট। সাধারণত ঈদের আগে নতুন টাকার জন্য অনেক সাধারণ মানুষও ভিড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকে বা খোলাবাজারে। অনেকে ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করেন নতুন টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। "এবার নতুন টাকা শুধু ব্যাংকে দেয়া হবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে খোলা বাজারে এবার চাহিদা কম। তাছাড়া সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিও আছে"। মিস্টার ইসলাম বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে অনেকে সরাসরি এসে নতুন নোট সংগ্রহ করতো আবার ব্যবসায়ীরাও আগে থেকে অনেকে চাহিদা জানাতেন। সেজন্য নতুন নোট অনেক বেশি সরবরাহ করতে হতো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঈদের বাজারে জাল নোটের ঝুঁকি, কীভাবে চিনবেন? টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? টাকায় মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া: সুরক্ষার উপায় কী? জাল টাকা থেকে সাবধান থাকবেন কীভাবে ঈদে নতুন টাকা কিন্তু ঈদ আসলে নতুন নোট কেন আনা হয়? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছেন এ সময়ে চাহিদা বাড়ে নতুন নোটের, বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও ব্যাংকগুলোর দিক থেকে। "এর বাইরেও আমরা সারা বছর ধরে ছিঁড়ে যাওয়া, পুড়ে নষ্ট হওয়া. বা রি-ইস্যু করা যায়না এমন নোটগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে মার্কেট থেকে তুলে নেই। যার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি পূরণের জন্যও নতুন নোট সরবরাহ দরকার হয়। তাছাড়া বাজারের চাহিদার একটা বিষয় আছে"। তিনি বলেন শুধু ঈদকে সামনে রেখেই নতুন নোট সরবরাহ করা হয়না। বরং এর আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো মার্কেটে মানি সার্কুলেশন অর্থাৎ অর্থের প্রবাহের বিষয়টি। অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, নতুন নোট আনার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় প্রধানত: বিবেচনা করা হয়। এগুলো হলো পুড়িয়ে ফেলা ব্যবহার অযোগ্য নোট ও বাজার সার্কুলেশন। "বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোট সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হয় সেটি যেন বেশি হয়ে মূল্যস্ফীতির কারণ না হয়। এজন্য একটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে" - বলছিলেন তিনি। টাকা কি নতুন করে ছাপানো হয়? নাকি আগেই ছাপানো থাকে? সিরাজুল ইসলাম বলছেন, টাকা হঠাৎ করে ছাপানো হয়না কারণ টাকা ছাপানোর একটি প্রক্রিয়া আছে। "মার্কেট টুলস ব্যবহার করে সংশ্লিষ্টরা পর্যালোচনা করেন যে কি পরিমাণ টাকার দরকার হবে নতুন করে। সেভাবেই ছাপানো হয়। পরে বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে তা বাজারে ছাড়া হয়"। ফাহমিদা খাতুন বলছেন অনেক সময় বিশেষ পরিস্থিতিতে টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। "যেমন ধরুন এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রণোদনা, নানা প্যাকেজের জন্য টাকার দরকার হবে। হয়তো সে কারণে নতুন সরবরাহের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে খুব কঠোর ভাবে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর রাখতে হয়। না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা থাকে"। বাংলাদেশের নানা মূল্যমানের ব্যাংক নোট টাকা কি সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইচ্ছেমতো ছাপাতে পারে? সিরাজুল ইসলাম বলছেন, সে সুযোগ নেই। কারণ এর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, সেগুলো মেনেই কাজ করতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন বলছেন, এমন কোনো বিধিনিষেধ বা ধরাবাঁধা নিয়ম নেই যে এতো টাকা ছাপানো যাবে বা এর বাইরে ছাপানো যাবেনা। "তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির ওপর। বাজারে অর্থের প্রবাহ বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে যা জীবনযাত্রা খরচ বাড়িয়ে দেবে। তাই একটি ভারসাম্য রাখতে হয় অর্থনীতির স্বার্থেই"। নতুন টাকার ঘ্রাণে ঈদ আনন্দ ঈদ সেলামি বা উপহারে নতুন টাকা ঈদের সময় পরিবারের ছোটোদের উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নতুন টাকার বেশ সমাদর রয়েছে। ঢাকার পরিবাগের শাহীনা আফরোজ বলছেন, পরিবারের বয়স্করা ছোটোদের নতুন নোট দেবেন - এ বিষয়টি ঈদ আনন্দেরই একটি অংশ হয়ে দাঁড়িযেছে। "আমার বাবাকে দেখতাম ছোটবেলায় নতুন নোট দিতেন আমাদের ভাইবোনদের। চাচা মামাদের কাছ থেকেও পেতাম। এখন আমার শ্বশুর তার নাতি-নাতনীদের প্রতি ঈদের নতুন নোট উপহার দেন"। ব্যাংকে কাজ করেন জাহেদা ইশরাত। তিনি বলেন ঈদের আগে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের অনেকেই তার কাছ থেকে নতুন নোট পেতে চান। "ঈদের অনেক আগেই অনেকে বলে, তুমি তো ব্যাংকে আছো নতুন ১/২ বান্ডিল নোট দাও। কয়দিন আগে ২শ টাকার নতুন নোট এসেছে। তাও চেয়েছেন অনেকে"। তিনি অবশ্য বলেন, এবারে করোনাভাইরাস জনিত কারণে অন্যবারের তুলনায় নতুন নোটের জন্য আগ্রহ কম দেখছেন তিনি।
নতুন ব্যাংক নোট: চাইলেই কি ইচ্ছে মতো টাকা ছাপানো যায়?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
একাকী মায়েদের জীবনযুদ্ধ অনেক কঠিন। এরপর দীর্ঘ ২৭ বছর স্বামীকে ছাড়া দুই মেয়েকে নিয়ে এক হাতে সংসার সামলেছেন তিনি। যা কখনোই সহজ ছিল না। মেয়েদের পড়াশোনা, বাড়ি ভাড়া, মাসের খরচ- সেইসঙ্গে সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কঠোর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। চলার পথের সেইসব বাধা কিভাবে তিনি সামাল দিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন মিসেস সিদ্দিকা। "যখন আমার স্বামী মারা যান, আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম যে কি করবো। দুটো মেয়েকে বড় করবো কিভাবে। তখন পরিবারের অনেক কাছের মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।" "আবার অল্প বয়সে স্বামী হারিয়েছি বলে অনেক পুরুষই নানা সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করতো। কিন্তু আমি মনকে শক্ত করে চাকরি করে গেছি। সবাই বলতো মেয়েদের ছোট অবস্থাতেই বিয়ে দিয়ে দিতে। আমি কারও কথা শুনিনি। কারণ আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম যে আমি আমার মেয়েদের কারও মুখাপেক্ষী করবো না।" মিসেস সিদ্দিকার দুই মেয়েই এখন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বড় চাকরি করেন। তারাই এখন মায়ের দেখাশোনা করছে। তিনি যে এভাবে সন্তানদের বড় করতে পারবেন এটা তার কাছের মানুষরাই কখনও ভাবতে পারেনি। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নজরুল ইসলামও তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন প্রায় দুই দশক হল। দুই ছেলের বয়স তখন খুব কম থাকায় পরিবার থেকে বার বার চাপ আসে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য। সবাই প্রশ্ন করতো পুরুষ হয়ে একা কিভাবে সংসার সামলাবেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম ছিলেন অটল। কাছের মানুষদের সাহায্যে একা একাই তিনি পালন করেছেন বাবা ও মায়ের ভূমিকা। "আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সবাই চাপ দিতে শুরু করে বিয়ে করতে। ভাবতো যে পুরুষ মানুষ একা সংসার সামলাতে পারবেনা। কিন্তু আমি তা কখনোই চাইনি। এটা ঠিক যে একজন মায়ের অভাব কখনোই পূরণ করা সম্ভব না। কিন্তু আমি অফিস শেষে সংসারের কাজ করেছি। ছেলেদের পড়িয়েছি। আমার ছেলেরাও বুঝে গিয়েছিল তাদের মনকে শক্ত রাখতে হবে। আসলে সংসার চালানোর জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করতে হবে, এমনটা আমি ভাবতেই পারিনি।" পোশাক শ্রমিক নারীরা অনেকে পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন। বাংলাদেশে সামাজিকভাবে পরিবারের সংজ্ঞা মানেই মা এবং বাবা। সিঙ্গেল প্যারেন্টিংয়ের যুতসই কোন শব্দও বাংলা অভিধানে নেই। বাংলাদেশে একক মা কিংবা একক বাবার ধারণাটিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার জন্য যে সামাজিক পরিবেশ বা মানসিকতার প্রয়োজন, সেটার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরিন। "আমাদের সমাজে ধরেই নেয়া হয় যে একা মা অথবা একা একজন বাবা সন্তান মানুষ করতে পারবেনা, সংসার করতে পারবেনা। সিঙ্গেল প্যারেন্টিং কনসেপ্টটাকে গ্রহণ করার মতো মানসিকতাই আমাদের মধ্য তৈরি হয়নি। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় কিছু সুযোগ সুবিধার বিষয়ও আছে, যেটা কিনা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একক বাবা মায়েদের দেয়া হয়। অথচ আমাদের দেশে এমন কোন সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে কোন আলোচনাই হয়না।" এক্ষেত্রে অভিভাবকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরিন। সমাজে একক অভিভাবকত্বের বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে এ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমেরও এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশে বাড়ছে নারী প্রধান পরিবার আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাড়ছে নারী প্রধান পরিবার বাবা-মার দায়িত্ব: পুত্রবধূর হলে জামাতার নয় কেন বাবা মা যখন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেন "পাঠ্যসূচিতে এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে একজন বাবা কিংবা মা চাইলেই সংসার করতে পারেন, সন্তানকে দেখাশোনা করতে পারেন, ভরনপোষণ করতে পারেন। যেসব দেশে সলো মাদার সলো ফাদার কনসেপ্ট আছে, সেইসব দেশে রাষ্ট্র তাদেরকে কিভাবে সহায়তা করে সেখান থেকে ধারণা নেয়া যেতে পারে। তাদের থেকে উদাহরণ নিয়ে আমরা কিছু আইনগত দিক তৈরি করতে পারি। এছাড়া সিঙ্গেল প্যারেন্টিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গনমাধ্যমেরও ভূমিকা রাখতে হবে।" বাবা অথবা মায়ের মধ্যে কোন একজনের মৃত্যু হলে বা , কাজের প্রয়োজনে কেউ আলাদা বসবাস করলে অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে অনেক অভিভাবককেই একা সন্তান লালন পালন করা হয়। বাংলাদেশে সিঙ্গেল প্যারেন্টসদের নিয়ে কোন গবেষণা না হলেও এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
একাকী মা কিংবা একাকী বাবাদের জীবনের গল্প