instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তে যাত্রীদের তাপমাত্রা মেপে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে আসা আট জনের নমুনা পরীক্ষার পর তাদের ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। "এর মধ্যে দুই জনের নিশ্চিতভাবে এবং চার জনের মধ্যে আংশিক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছে আইডিসিআর ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ," নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলছিলেন তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি তাই সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, করোনার ভারতীয় ধরনটি 'বি.১.১৬৭' নামে পরিচিত যা অতি সংক্রামক বলে বিভিন্ন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরণ ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী? বদলে যাচ্ছে কোভিড ভাইরাস, যা জেনে রাখা জরুরি করোনাভাইরাস: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এলে পরিস্থিতি খারাপের আশংকা নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আসলে পরিস্থিতি খারাপের আশংকা করেছিলেন বিশ্লেষকরা ভারত ভ্যারিয়েন্ট ঠিক কী? যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন ঘটাতে করতে থাকে অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন সৃষ্ট অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়। কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে - যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট - যেটার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ - প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে। ভারতে প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। ভারত জানিয়েছে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের যে ''ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট''-এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, সেটির কারণেই দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি প্রাণঘাতী হয়েছে। ভারতে এখন সংক্রমণের এক ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে বাংলাদেশ নিয়ে গবেষকদের উদ্বেগ অন্যদিকে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়ন করে এমন একদল বিশ্লেষক সম্প্রতি বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য উপাত্ত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পদক্ষেপ, ভাইরাসের বিস্তারের ধরন - এমন নানা কিছু বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকদের দলটি যে সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করেছে তাতে একথা বলা হয়। বাংলাদেশি বিশ্লেষকদের দলটির আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপ। অক্সফোর্ডের একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আরও ৪২টি দেশের গবেষক ও বিশ্লেষকদের সাথে তারা কাজ করছেন। এর আগে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছিলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। তারা বলেছিলো দেশটিতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট। বাংলাদেশে ৬ই জানুয়ারি প্রথম ইউকে বা যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টটি বাংলাদেশে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দেখা যায় যে, অন্য যে সব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশে, তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিলো করোনার বাংলাদেশ পরিস্থিতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৩ জনের। আর কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন । দেশটিতে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার গত ৫ই এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ কিংবা বিভিন্ন মাত্রার লকডাউন দিয়েছে যা আগামী ১৬ই মে পর্যন্ত বহাল আছে। যদিও এর মধ্যে দোকানপাট, শপিং মল, শহরের মধ্যে যানবাহন খুলে দেয়া হয়েছে।
কোভিড ভাইরাস: করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো বাংলাদেশে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতনে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সংস্থাটি 'অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢালাওভাবে আটক' করা রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে। ২০১২ সালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু করার পর থেকে রোহিঙ্গা ও কামান মুসলিমদের 'উন্মুক্ত বন্দিশিবিরে' আটক করে রাখা হয়েছে বলে উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থাটির রিপোর্টে। ১৬৯ পৃষ্ঠার রিপোর্টে মধ্য রাখাইন রাজ্যে ২৪টি ক্যাম্পের 'অমানবিক' পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য ও আশ্রয়ের অধিকারের পাশাপাশি তাদের মানবিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ক্যাম্পে আটক থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পানি বাহিত রোগ, অপুষ্টির মাত্রা এবং শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুর হার বেশি বলে উঠে এসেছে বিবৃতিতে। রিপোর্টের লেখক এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক গবেষক শায়না বাউকনার বলেন, "মিয়ানমার সরকার দাবি করে যে তারা সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ করছে না, কিন্তু তাদের এই দাবি ফাঁকা বুলির মত শোনাবে যদি তারা রোহিঙ্গাদের পূর্ণ আইনি সুরক্ষাসহ ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে না দেবে।" সংস্থাটি বলছে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উত্তর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা ও নির্যাতনের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে ২০১২ সালের পদক্ষেপ। আরো পড়তে পারেন: যে ৫টি দাবি পূরণ হলে বার্মায় ফিরতে রাজি রোহিঙ্গারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের কয়েকটি লোমহর্ষক ঘটনা মিয়ানমারে সরকারি স্থাপনা তৈরির জন্য রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস গণহত্যার স্বীকারোক্তি দেয়া মিয়ানমারের দুই সৈন্য কোথায়? রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২০১৮ সালের পর থেকে ৬০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা, কামান মুসলিম এবং মানবাধিকার কর্মীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি। এছাড়া একশোরও বেশি সরকারি, বেসরকারি অভ্যন্তরীণ নথিসহ জাতিসংঘের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে যে মিয়ানমার ও রাখাইন রাজ্যের সরকারের কাছে ক্যাম্পগুলোর পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বারবার আহ্বান জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সেসব আহ্বান উপেক্ষা করে এসেছে। রোহিঙ্গারা বলছে ক্যাম্পের জীবন গৃহবন্দী থাকার মত। এক রোহিঙ্গা ব্যক্তি বলেন, "ক্যাম্পের জীবন খুবই কষ্টের। আমাদের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।" হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় ধরে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে আর সেই পরিকল্পনার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ২০১২ সালে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালায়। সেসময় রাখাইন রাজ্যে কর্মরত একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা ২০১২ সালে মিয়ানমারের সরকারের মনোভাব সম্পর্কে বলেন: "তাদের মনোভাব ছিল কোনঠাসা করা, আবদ্ধ করা এবং 'শত্রু'কে আটক রাখা।" ২০১৭ সালের এপ্রিলে ২০১২ সালে তৈরি করা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো বন্ধ করার ঘোষণা দেয় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তারা 'অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন ও আইডিপি ক্যাম্প বন্ধের জাতীয় কর্মসূচি' হাতে নিলেও সেসময় ক্যাম্পের পরিধি বাড়িয়ে কার্যত রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরে যাওয়ার সুযোগ আরো সীমিত করে দেয়। কামান মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নেতা বলেন, "এখন পর্যন্ত একজনও ফিরে যেতে পারেনি, একজনকেও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। এখনও আমরা সরকারকে আমাদের জায়গার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছি।" হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাথে কথা বলা একজন রোহিঙ্গাও মনে করেন না যে তাদের অনির্দিষ্টকালের শাস্তির মেয়াদ কখনো শেষ হবে বা তাদের সন্তানরা কখনো স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, "আমার মনে হয় এই পদ্ধতি স্থায়ী। কিছুই পরিবর্তন হবে না, এগুলো শুধুই ফাঁকা বুলি।" নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ রোহিঙ্গার ভোট দেয়ার অধিকারই নেই।
রোহিঙ্গা: মিয়ানমারের রাখাইনে 'উন্মুক্ত কারাগারে' বন্দী লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ও কামান মুসলিম, বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
হ্যাকারওয়ানের শীর্ষ দশ হ্যাকারের মধ্যে সন্দীপ সিং একজন তিনি একজন ফুল টাইম হ্যাকার। তার আট ঘণ্টা আগে ফেসবুক ঘোষণা করেছিলো যে তারা ভিডিওসহ কমেন্ট পোস্ট করার সুযোগ দেবে ব্যবহারকারীদের। প্রণাভ দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেই হ্যাকিং করতো। যেসব দুর্বলতা বা ভুল অপরাধীদের হাতে পড়লে তারা একটি কোম্পানির নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে পারে ও তথ্য উপাত্ত চুরি করে নিতে পারে। তিনি কোড পেলেন এবং সেই কোডে দুর্বলতা ছিলো যা ফেসবুক থেকে যে কোনো ভিডিও ডিলিট করে দিতে ব্যবহৃত হতে পারতো। "আমি দেখলাম যে আমি কোড নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারি, এমনকি ইচ্ছে করলে মার্ক জাকারবার্গ আপলোড করেছেন এমন ভিডিও ডিলিট করে দিতে পারি," প্রণভ পুনের একজন এথিক্যাল হ্যাকার, বলছিলেন বিবিসিকে। তিনি সেই দুর্বলতা সম্পর্কে ফেসবুককে জানান এর বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে। দু সপ্তাহের মধ্যেই একজন তিনি ডলারে ৫ ডিজিটের একটি অংকের পুরস্কার পান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অন্ধকার সাইবার জগতে বাংলাদেশী এক হ্যাকারের গল্প হ্যাকাররা ভবিষ্যতে আপনার স্মৃতি চুরি করতে পারবে সাইবার হামলার ঝুঁকিতে অধিকাংশ ব্যাংক - করণীয় কী? আর্থিক খাতে সাইবার ক্রাইম ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন? জেসে কিনসার বাগ হান্টারস কিছু এথিক্যাল হ্যাকারস এখন বড় অংকের অর্থ আয় করছেন এবং এ শিল্পটাও বড় হচ্ছে। এরা তরুণ এবং দুই তৃতীয়াংশের বয়স ১৮-২৯। তারা কোম্পানির ওয়েব কোডের দুর্বলতা খুঁজে দিয়ে পুরস্কৃত হচ্ছে বড় কোম্পানিগুলো দ্বারা। একটি বাগ বা ত্রুটি যেটি আগে কখনো পাওয়া যায়নি তেমন কিছু বের করতে পারলে জোটে বড় অংকের অর্থ, এমনকি লাখ ডলার পর্যন্তও। যারা এমন ভালো কাজগুলো করে তাদের বলা হয় এথিক্যাল হ্যাকার বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস। "পুরস্কারই আমার আয়ের একমাত্র উৎস," বলছিলেন শিভাম ভ্যাশিস্ত। উত্তর ভারতের এই এথিক্যাল হ্যাকার গত বছর এক লাভ পঁচিশ হাজার ডলার আয় করেছেন। "বৈধভাবেই আমি বিশ্বের বড় একটি কোম্পানিকে হ্যাক করি এবং অর্থ আয় করি। এটা ছিলো মজার ও চ্যালেঞ্জিং"। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে সুদানে নারীদের নিয়ন্ত্রণকারী আইন বাতিল পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? অপারেশন গঙ্গাজল: যে নির্যাতনে স্তম্ভিত হয়েছিল ভারত হ্যাকারওয়ান ৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বাগ বাউন্টি হিসেবে এটা এমন একটা কাজের ক্ষেত্র যার জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়েনা। অন্য অনেকের মতো শিভামও বলছেন যে তিনি এটি শিখেছেন অনলাইনে থাকা রিসোর্স ও ব্লগ থেকে। "বহু বিনিদ্র রাত আমি কাটিয়েছি হ্যাকিং এবং আক্রমণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে এজন্য আমি ইয়ার ড্রপ করেছি"। আমেরিকান হ্যাকার জেসে কিনসারের মতো তিনিও এর মধ্যেই আকর্ষণীয় ক্যারিয়ারের খোঁজ পেয়ে গেছেন। "কলেজে থাকার সময়েই আগ্রহী হয়েছিলাম। তারপর ব্যাপক গবেষণা শুরু করি মোবাইল হ্যাকিং ও ডিজিটাল ফরেনসিক নিয়ে," কিনসার জানিয়েছেন ই-মেইলে। শিভাম ভ্যাশিস্ত হ্যাকিং শিখেছেন অনলাইনে নিজ উদ্যোগে বড় অর্থ বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাগ বাউন্টি কর্মসূচি এসব হ্যাকারকে উৎসাহিত করতে ভূমিকা রাখছে। "এ কর্মসূচি প্রযুক্তি আগ্রহীদের জন্য আইনসিদ্ধ বিকল্প সুযোগ যারা না হলে ক্ষতিকর চর্চার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারতে বিশেষ করে হ্যাকিং সিস্টেম ও হ্যাক করে পাওয়া ডাটা অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে," বলছিলেন টেরি রয়, ডেটা সিকিউরিটি ফার্ম ইমপার্ভার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম হ্যাকারওয়ান বলছে ২০১৮ সারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের হ্যাকাররা সবচেয়ে বেশি পুরস্কারের অর্থ পেয়েছে। তাদের কেউ বছরে সাড়ে তিন লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। সন্দীপ সিং যিনি এখন 'গিকবয়' নামে পরিচিত হ্যাকার ওয়ার্ল্ডে, তিনি বলছেন এটা কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপার। "প্রথম ভ্যালিড রিপোর্ট আর পুরস্কার অর্থ পেতে আমাকে ছয় মাস কাজ করতে হয়েছে ও ৫৪টি রিপোর্ট দিতে হয়েছে"। এথিক্যাল হ্যাকিং প্রতিযোগিতা নিরাপত্তা জোরদার হ্যাকারওয়ান, বাগ ক্রাউড, সাইন্যাক কিংবা এ ধরণের কোম্পানিগুলো বাগ বাউন্টি কর্মসূচি পরিচালনা করছে বড় বড় প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও। তারা এথিক্যাল হ্যাকারস খুঁজে দেয়া, কাজগুলো ভেরিফাই করা ও ক্লায়েন্ট সম্পর্কে গোপনীয়তা নিশ্চিত করে থাকে। তিনটি বড় বাগ বাউন্টি ফার্ম এর মধ্যে বড় হলো হ্যাকারওয়ান। তাদের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ হ্যাকার আছে এবং তারা প্রায় সত্তর মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে থাকে, বলছিলেন কোম্পানির হেড অফ হ্যাকার অপারেশন বেন সাদেঘিপোর। "বাগ বাউন্টি নতুন কিছু নয়। কিন্তু পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ছে স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে কোম্পানিগুলো নিরাপত্তা জোরদার করণের অংশ হিসেবে। কোম্পানিগুলো জানে যে যারা যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিলে এটি হ্যাকারদের আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে পারে এবং তাতে করে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বেহাত হতে পারে যা বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার অ্যাটাক আশি ভাগ বেড়েছে অথচ সিকিউরিটি ট্যালেন্টের সংখ্যা হাতে গোনা," এটি বলছে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম সাইন্যাক। সরকার বনাম বেসরকারি পুরস্কার কর্মসূচি সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো বলছে তারা বিশ্বস্ত হ্যাকারদের নিয়ে আরও নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারে। অনেক দেশেই আইনগতভাবে হ্যাকিং নিষিদ্ধ। তবে হ্যাকারদের জন্য এটা সহজ যে ইমেইলে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জানানো যে তাদের সমস্যা রয়েছে। এরপর বাগ বাউন্টি ফার্মগুলো সঠিক লোক দিয়ে কাজ করাতে সহায়তা করতে পারে বলে বলছেন সিকিউরিটি নিরীক্ষক রবি উইগিনস। কিন্তু সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক পুরষ্কারের জায়গা বাড়ছেই। অনেকে হয়তো বেশি আয় করছেনা কিন্তু কিছু ব্যক্তি অনেক অর্থ আয় করছে। আর এই শিল্পে লিঙ্গ বৈষম্যও প্রকট। জেসে কিনসার বলছেন পুরুষের চেয়ে নারীর কাজের মূল্যায়ন কম হওয়ার কারণেই এটা হয়েছে যা একটি মহামারীর মতো সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।
যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। গত সাড়ে চার মাসে এই আন্দোলনের সাথে জড়িত মোট আটজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ ঘটনায় বুধবার আরো একজন যুগ্ম আহবায়ক লুৎফুন্নাহার লুমাকে আটক করা হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ থেকে। নেতাদের একের পর এক এরকম গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় কোটা আন্দোলনের একজন যুগ্ম আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, যিনি নিজের পরিচয় দিতে চান নি, তিনি বলেছেন, "আমাদের ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে। প্রায়শই কল আসে অপরিচিত নম্বর থেকে। আমাদের পরিবারের লোকজনকে বোঝানো হচ্ছে আমরা নাকি রাষ্ট্র্রদ্রোহী আন্দোলন করছি।" অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবিসি বাংলাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, গ্রেফতার এড়াতে তাদের বেশিরভাগ নেতা এখন আত্মগোপন করে আছেন। তারা বলছেন, এর ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি ছাড়াও আরো কয়েকজন নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। কয়েকবারের চেষ্টার পর কেউ কেউ ফোন ধরলেও পরে তারা বলেছেন, অজানা নম্বর দেখে ভয়ে তারা ফোন ধরেন নি। সর্বশেষ লুৎফুন্নাহার লুমাকে গ্রেফতারের আগে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সকলেরই জামিন আবেদন বাতিল করেছে আদালত। অনেককে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। তাদের একেক জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। কেউ আটক আছেন মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, আবার কেউ ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে। বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। এছাড়াও গত চার মাসে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছিল, কিন্তু তাদেরকে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু মামলা বা গ্রেফতারই নয়, অনেক নেতা কর্মীর ওপর হামলার কারণে তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে। শহীদ মিনারে সরকার সমর্থকদের হামলায় আহত একজন নেতা। আরো পড়তে পারেন: শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে যেমনটা ছিল ভারতের প্রতিক্রিয়া 'আস্থাহীনতার রাজনীতির সূত্রপাত ১৫ই অগাস্ট থেকে' ব্যাঙ্গালোরে বর্জ্য পানি ব্যবহৃত হচ্ছে সিল্ক শাড়ি তৈরির কাজে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ' নামে ১৭১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির আহবায়ক ছিলেন হাসান আল মামুন। আর বাকি ১৭০ জনই যুগ্ম আহবায়ক। তাদের সাতজনই এখন কারাগারে আটক রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটা আন্দোলনের এই নেত্রী অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকে তার নাম ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে তার ছবি দিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচারও চালানো হয়েছে। "এখন বাড়িতেও যেতে পারছি না। কারণ বাসায় গেলে সেখান থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে। হলে থাকতেও ভয় পাচ্ছি। হল থেকেও পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। থানার লোকজনসহ সরকারি দলের স্থানীয় নেতারাও আমাদের পরিবারের উপর নানাভাবে চাপ তৈরি করছে। তাদের সাথে খারাপ আচরণ করছে।" তিনি বলেন, "ডিবির লোক পরিচয় দিয়ে তারা লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তো আর ডিবির লোকদের চিনি না। শাদা পোশাকে এসে তারা নিজেদেরকে ডিবির লোক বলে পরিচয় দেয়। আসলেই তারা ডিবির লোক কিনা নাকি অন্য কেউ সেটাতো আর বুঝতে পারি না। ধরে নিয়ে কি করে কে জানে। ধরলে তো আর ছাড়েও না। তাদের জামিনও হয় না। তাই গৃহবন্দীর মতো অবস্থা।" নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করতে গেলেও পুলিশ সেসব গ্রহণ করতে রাজি হয় না। কোটা আন্দোলনের এই যুগ্ম আহবায়ক বলেন, আন্দোলন করার কারণে তার বাবার চাকরিতেও সমস্যা হচ্ছে। "আমার বাবা সরকারি চাকরি করেন। সেখানে বলা হচ্ছে সরকারের খেয়ে, সরকারের পরে আপনার মেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তো আপনার কি আর চাকরিতে থাকা উচিত! আপনার মেয়েকে যদি থামাতে না পারেন, তাহলে কেউ যদি ব্যবস্থা নেয়, বাবা হয়ে আপনি সেটা মেনে নিতে পারবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার। এসব বলে তারা বাবাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও হুমকি দিচ্ছে।" আন্দোলনকারীদের উপর সরকার সমর্থকদের হামলা। কোটা সংস্কারের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৮ই এপ্রিল রাতভর সহিংস বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিল বলে ঘোষণা দেন। পরদিন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল বের করে। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় নেতাদের একের পর এক গ্রেফতারের ঘটনা। এসব গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে গেলে সরকার সমর্থকরা তাদের উপর হামলা করে। এবং পুলিশও সেখান থেকে কোটা আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার করতে থাকে। পরে বিভিন্ন সময়ে নেতাদেরকে তাদের বাড়ি ও হল থেকেও তুলে নিয়ে গেছে। এরকম পরিস্থিতিতে কোটা আন্দোলনের নেতারা গত সপ্তাহে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলছেন, ঈদের আগে নেতাদের মুক্তি দেওয়া না হলে তারা জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন: গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতারা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালিতে ঢোকার চেষ্টা করে অনেকেই। এদের মধ্যে কয়েকশ ব্যক্তিকে আটক করেছে তুরস্কের পুলিশ। কিন্তু কাগজপত্রবিহীন এই অভিবাসীদের অনেকে বাংলাদেশে ফেরত যেতে চাইলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তারা পড়েছেন উল্টো সংকটে। ইউরোপে মানব পাচারকারীদের কাছে তুরস্ক হয়ে গ্রীসে বা ইউরোপে প্রবেশ করাটা বেশ জনপ্রিয় একটি পথ, যদিও সম্প্রতি ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের একটি সমঝোতার পর এই এই রুট কঠিন হয়ে উঠেছে। দালালদের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে তুরস্কে আটকে পড়েছে অনেক বাংলাদেশীও। তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী বলছেন, ''আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি যে, এখানে বিভিন্ন সময়ে আসা বাংলাদেশি নাগরিক চারশো বা একটু বেশি, তারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আটক অবস্থায় আছেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা সর্বান্তকরণ চেষ্টা করছি।'' তিনি বলছেন, ''এই দেশে মোট ২ হাজার বাংলাদেশি আসছেন বলে আমাদের অনুমান। তবে এটা কতটুকু সত্যি বলতে পারছি না, শুধু আমরা অনুমান করছি।'' রাষ্ট্রদূত মি. সিদ্দিকী বলছেন, ''এটা আমরা সবাইকে সতর্ক হওয়ার জন্য বলছি যে, তুরস্ক হয়ে ইউরোপে যাওয়া সম্ভব নয়, এটা অসম্ভব একটি প্রয়াস যা বিপদজনক, এরকম চেষ্টা না করার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি।'' দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এদের অনেকে এখনো ইউরোপে যাবার জন্য মরীয়া। এদের অনেকেই ইরান, লেবানন বা জর্ডানের বৈধ চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই পথে নেমেছেন। একদিকে তুরস্কে তারা যেমন শোষণের শিকার হচ্ছেন, তেমনি তাদের ব্যবহার করছে অপরাধী চক্রও। কিন্তু এদের মধ্যে যারা ইউরোপ যাবার আশা ছেড়ে দিয়ে এখন দেশে ফেরত যেতে চান, তারাও পড়েছেন উল্টো বিপদে। কারণ কাগজপত্র বিহীন এই বাংলাদেশীদের ট্রাভেল পারমিট দিতে পারছে না দূতাবাস, কারণ যাচাই না করে এই পারমিট না দেয়ার একটি পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে বিপদে পড়েছেন রাইসুল ইসলামের মতো অনেক বাংলাদেশি। বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে অনেক সময় পানিতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কেটে তীরে আসেন অভিবাসীরা প্রায় পাঁচ বছর আগে ইউরোপে যাবার আশায় দুবাইয়ের বৈধ চাকরি ছেড়ে কোন কাগজপত্র ছাড়া তুরস্কে আসেন রাইসুল ইসলাম। এরপর এখানেই আটকে পড়েন। তুরস্কের একটি ছোট শহরে এখন শ্রমিক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। রাইসুল ইসলাম বলছেন, ''বাড়িতে মা অসুস্থ, আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে আট বছর আগে। এখন দেশে যেতে চাই। কিন্তু দূতাবাস কাগজপত্র দিচ্ছে না। তারা বলছে, যাচাই করার জন্য আমার তথ্য সব দেশে পাঠানো হয়েছে। এনএসআইয়ের রিপোর্ট এসেছে, কিন্তু এসবির রিপোর্ট আসেনি।" "পুলিশের লোকজন আমার বাড়িতে গিয়ে কয়েক দফায় টাকা নিয়ে এসেছে, এই ঈদের আগেও গেছে। কিন্তু ছয়মাস হয়ে গেলো, তাদের রিপোর্টের জন্য আমার দেশে যাবার কাগজপত্র হচ্ছে না।'' তিনি বলছেন, তার শহরেই এরকম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন আরো ১৭জন বাংলাদেশি। তারাও কাগজের আশায় আশায় মাসের পর মাস ঘুরছেন। প্রত্যাবাসনে শ্লথগতির কারণে তুরস্কে মানবিক সংকটের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তারা। দূতাবাস সূত্র বলছে, অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য বাংলাদেশে পাঠানোর পরেও, মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের যাচাইকরণ তথ্য দূতাবাসে আসছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব রাখাল চন্দ্র বর্মণ বলছেন, ''তাই এটা পুরনো একটি পদ্ধতি যে, বিদেশে আটকে পড়া কোন বাংলাদেশির বিষয়টি যাচাই করে দেখা যে, সে বাংলাদেশি কিনা। বাংলা তো অনেক দেশের লোক বলে। তাদের মধ্যে ভারতীয় বা মিয়ানমারের লোকজনও থাকতে পারে। তাদের তো আর আমরা ফেরত আনবো না।'' তিনি বলছেন, ''ওরা (দূতাবাস) তালিকা পাঠায়, সেই তালিকা এসবি-এনএসআইয়ের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হয় যে তারা বাংলাদেশের নাগরিক কিনা। তারা বাংলাদেশের নাগরিক হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দেয়া হয়। আমরা সাথে সাথেই অ্যাকশন নিয়ে থাকি।'' কিন্তু যে জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তিনি বলছেন, ''এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই দেখবো।'' তবে আঙ্কারার দূতাবাস সূত্র বলছে, এই সমস্যার বিষয়ে ঢাকায় কয়েক দফা চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে আমলাতান্ত্রিক এই জটিলতায় মাসের পর মাস বিদেশের মাটিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অসংখ্য ভাগ্যান্নেষী বাংলাদেশি। আরো পড়তে পারেন: শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো ২৭টি গোখরা সাপ 'ফরহাদ মজহার এমন কেউ নন তাঁকে সরকার ভয় পাবে' ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়? বিয়ে রুখতে নিজের হাত কাটলেন নবম শ্রেণীর বিথী
'স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ৮ বছর আগে, দেশে যেতে চাই কিন্তু কাগজপত্র পাচ্ছি না'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
আমানতকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে নতুন আইনটির খসড়া অনুমোদন করে মতামত চেয়ে পনের কার্যদিবস সময় দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দিয়েছে সরকার। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বিবিসিকে বলছেন, এটি মূলত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য উপকার হবে। "ক্ষুদ্র আমানতকারীরা এ থেকে লাভবান হবেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলেও তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ইন্সুরেন্স তহবিল থেকে তাদের সহায়তার জন্য আইনটি করা হচ্ছে"। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে এখন ব্যাংক আমানত বীমা আইন হিসেবে যেটি আছে সেখানে শুধু 'ব্যাংক' অন্তর্ভুক্ত ছিলো কিন্তু এ নতুন আইনে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়ে পাশ হলে এর আওতায় আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করা হবে। একই সাথে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত সুরক্ষার বিপরীতে বীমা প্রিমিয়াম দিতে পরপর দুবার ব্যর্থ হলে সেই প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নে বা বন্ধ করার ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। যদি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত বা দেউলিয়া হয়ে পড়ে তাহলে ওই তহবিল থেকে আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করা যাবে। আইনটিতে বলা হয়েছে, "কোন বীমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর অবসায়নের আদেশ দেয়া হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ওই অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমানতকারীকে তার বীমাকৃত আমানতের সমপরিমাণ টাকা, যা সর্বাধিক এক লাখ টাকা বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত টাকার বেশি হবেনা, তহবিল হতে প্রদান করবে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং হলে গ্রাহক কী করবেন? দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে ক্রেডিট কার্ড: গ্রাহকরা কী করতে পারেন, কী পারেন না টাকায় মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া: সুরক্ষার উপায় কী? আমানতকারীরা যেন সুরক্ষা পায় সেজন্য নতুন আইন করা হচ্ছে বলে বলছে কর্তৃপক্ষ তাহলে এক লাখ টাকার বেশি থাকলে সে অর্থের কী হবে? খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বিবিসিকে বলছেন আমানতকারীদের টাকা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা এবং এ জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও আইন আছে। "এখানে যে এক লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে সেটি ইন্সুরেন্স থেকে দেয়া হবে। তবে এক লাখ টাকার বেশি যাদের টাকা জমা থাকবে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেটি দেউলিয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ করবে। তিনিই ব্যাংকের সম্পদ বা অন্য কোনোভাবে আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন"। মিস্টার খালেদ বলেন নতুন আইনটি হলে যাদের এক লাখ টাকার কম আমানত থাকবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তারা সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত হলে আর কোনো ঝুঁকিতে থাকবেননা। প্রস্তাবিত আইনে অবসায়ন বলতে কোনো কোম্পানি কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলা, বন্ধ করা এবং দায়-দেনা নিষ্পত্তি করাকে বোঝায়। আইনটির খসড়াও আরও বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের পর তার আমানতকারীদের যে অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রাস্ট তহবিল পরিশোধ করবে সেটি সংশ্লিষ্ট দেউলিয়া হওয়া ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিট সম্পদের বিপরীতে যে তারল্য থাকবে তা সমন্বয় করা হবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়, আইনটি প্রবর্তনের পর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠিত তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রাস্ট তহবিলের সঙ্গে বীমাকৃত হবে। এছাড়া প্রত্যেক বীমাকৃত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের আমানতের অংশের ওপর প্রতিবছর এ তহবিলে প্রিমিয়াম প্রদান করবে। মিস্টার খালেদ বলছেন এ প্রিমিয়ামও ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ থেকে দেবেনা। বরং তারা নিজেরাই এ অর্থ প্রদান করবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রিমিয়ামের হার কমবেশি করতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সঞ্চয়: ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে জমা টাকা কি ফেরত পাওয়া যাবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক সামরিক শাসক। এর অংশ হিসেবে দলটি শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে। তবে ৩৬ বছর আগে আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তাঁর ক্ষমতা দখলের সেই দিনেই ঢাকায় মহাসমাবেশ করে জেনারেল এরশাদ গণতন্ত্রের কথা বললেন। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয়ী হয়ে 'ইতিহাস সৃষ্টি করবে।' গণঅভ্যুত্থানে পতনের পরও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে গেছেন। এখন তিনি বলে থাকেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রধান দুই দলের ভোটের রাজনীতির কারণে তাঁর পুনর্বাসন সম্ভব হয়েছে। বিবিসি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল এরশাদ এবার এককভাবে নির্বাচন করার কথা বলেছেন। একই সাথে তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে হিসাবনিকাশ অন্য রকম হতে পারে। ফলে তাঁর অবস্থান নিয়ে রহস্য থাকছেই। রওশন এরশাদ, সংসদে বিরোধীদলীয় প্রধান। আরও দেখুন: নতুন পাঁচ 'স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়' বাংলাদেশ স্বৈরশাসন প্রশ্নে জার্মান সমীক্ষা প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ স্বৈরশাসন তালিকায় বাংলাদেশ বিতর্ক: কীভাবে দেখছে বিএনপি? দু'হাজার চৌদ্দ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশ নেয়া না নেয়ার প্রশ্নে জেনারেল এরশাদের নানান ধরণের বক্তব্য সে সময়ও রহস্য সৃষ্টি করেছিল। শেষপর্যন্ত জাতীয় পার্টি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনের পরে জাতীয় পার্টির তিনজন নেতা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারে মন্ত্রী হয়েছেন। জেনারেল এরশাদ নিজে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে রয়েছেন। একইসাথে তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ হয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। দলের এমন দ্বৈত অবস্থানের কারণে তিনি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। এখন তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "এসব পুরনো প্রশ্ন মানুষ মনে রাখে না। সরকারে আছি নাকি নেই, এটা বড় কথা নয়। কথা হলো, মানুষ সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের জন্য আর কোন দল নেই। এখন একমাত্র জাতীয় পার্টিই রয়েছে।" পুরনো হলেও প্রশ্নটা যে রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, তিনি সেটা জানেন। এখন আগামী দু'এক মাসের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ঢাকায় ছাত্রদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। তাঁর দলের তিনজন সদস্যও মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা পুরোপুরি বিরোধীদল হবেন বলে জেনারেল এরশাদ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকার থেকে তাদের সরে আসার পর সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে প্রতিনিধি নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করা হবে। সেই সরকার নির্বাচন করবে। সেটাই তাদের প্রত্যাশা। তবে রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সময়ের অবস্থান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এমনকি দলটি নিয়ে মানুষের মাঝে আস্থার অভাব আছে। জাতীয় পার্টির অবস্থান বা জেনারেল এরশাদের বক্তব্য মানুষ বিশ্বাস করে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন যে, মানুষ কাকে বিশ্বাস করে? একইসাথে তিনি বলেন, "আমাদের মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।" তিনি আরও বলেন, "অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে এসেছি। আমরা ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে। আমি ছয় বছর জেলে ছিলাম। আমাদের কর্মিরা জেলে ছিল। আমাদের আগে কোন সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। তা স্বত্বেও জাতীয় পার্টি বেঁচে আছে। আমরা ক্ষমতায় যাওয়া স্বপ্ন দেখছি। এটা কী মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে না?" বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেরুকরণের দুই প্রধান অনুঘটক হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। দেশেরও রাজনীতিও প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত। সেখানে জাতীয় পার্টি কোন্ দলের বিকল্প হতে চাইছে, এই প্রশ্নের জবাবে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, "এটাতো আপনাদের কথা। কিন্তু জনগণের মনের কথা কী?" "বিএনপি দেশের জন্য কি করেছে? তারা কখনও দেশের উন্নতির জন্য কাজ করেনি। আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি। আর আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করেছে।" জেনারেল এরশাদ আরও বলেন, এখন মানুষ চেয়ে আছে জাতীয় পার্টির দিকে। তিনি উল্লেখ করেন, এবারই প্রথম তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে এবং তাঁর দল মুক্ত দল হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে। ফলে তাঁর দলের এককভাবে অবস্থান তৈরির সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ক্ষমতা দখলের বার্ষির্কীতে গণতন্ত্রের কথা বললেন জেনারেল এরশাদ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
এরআগে ২৫ তারিখ রাত ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এই ২২ ঘণ্টায় মিস্টার ফিরোজের চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফিরোজ কবিরের স্বজনরা অভিযোগ তুলেছেন, এই বিলটিতে সামঞ্জস্যহীনতা রয়েছে। বিলটি নিয়ে সমালোচনা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ফিরোজ কবিরের দুলাভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা কিছুই করি নাই। তারা বলছে আপনাদের কিছুই করতে হবে না। যা করার আমরাই করবো। জরুরী বিভাগে ভর্তির ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ওরা লাইফ সাপোর্টে দিয়ে দিছে"। আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় মানতে রাজি না সরকার 'ডেঙ্গু রোগীরা ঢাকা থেকে এসেছে' ডেঙ্গু: 'হাসপাতালে ভর্তির দরকার না থাকলেও ভর্তি হচ্ছেন' তিনি অভিযোগ করেন, "ওই হাসপাতালে কী কী টেস্ট করছে তাও আমরা জানি না। আসলে সব টেস্ট ওরা নিজেরাই করছে। বাইরে থেকে করা হয়নি। তবে বিলের সামারিতে টেস্টের সংখ্যা লিখছে। টেস্টের যে কাগজপত্র আছে সেটাও আমরা কখনোই দেখিনি।" খরচ বাবদ ভর্তির সময়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫৭ হাজার টাকা দিয়েছেন ফিরোজের স্বজনরা। যা বিলের ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা থেকে বাদ দিলে বাকি থাকে আরো ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এই টাকা তারা পরিশোধ করেননি বলেও জানানো হয়।। তবে বিলের যে কপিটি বিবিসি বাংলাকে দেয়া হয় সেখানে চূড়ান্ত বিল দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩২ টাকা। মিস্টার কবির অভিযোগ করেন, "যখন ভর্তি করি তখন ডিউটি ডাক্তার আমাদের বলেছিলো যে, সেখানে ভর্তি করলে প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার টাকা বিল হবে। তবে ২২ ঘণ্টা পার হলে এই বিল সামারি দেয়া হয় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।" "তাদের কথা মতো ধরলেও দুই দিনের বিল এক সাথে করলেও আসে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তারপরও আরো ৪৬ হাজার টাকা বাড়তি বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে আমাদের।" স্কয়ার হসপিটালের দেয়া খসড়া বিল এ বিষয়ে জানতে স্কয়ার হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার কাস্টমার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিতর্কিত বিলটি নিয়ে বলেন, "একজন মরণাপন্ন রোগী যখন আইসিইউতে থাকে তখন বিভিন্ন ধরণের টেস্ট একঘণ্টা-আধাঘণ্টার ব্যবধানে করতে হয়। যখন কারো ডেঙ্গু থাকে তখন তাকে সিবিসি, ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। ডেঙ্গুর টেস্ট থাকে"। বিলটিতে ল্যাবরেটরি চার্জ অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের টেস্টের জন্য বিল ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৮৩৬ টাকা। উল্লেখ করা হয় যে, আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার অন্তত ৪২-৪৩টি টেস্ট করানো হয়েছিলো। তবে মিস্টার ফিরোজের কি কি পরীক্ষা করানো হয়েছিলো তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। তবে তিনি জানান, "ওনার ৪-৫ ব্যাগ রক্ত লাগছে। প্লাটিলেট লাগছে ৫ ব্যাগ যেগুলোর বিল আমাদের এখানে অনেক। ৫ ব্যাগ প্লাটিলেটে খরচ হয় ৩৬ হাজার টাকার মতো। রক্তের ক্রস ম্যাচিংয়ের জন্য লাগে সাড়ে তিন হাজারের মতো।" ফার্মেসি বা ওষুধের জন্য ৫১ হাজার ১৯৯ টাকা দেখানো হয়েছে। ল্যাবরেটরি চার্জ দুই বার উল্লেখ করা আছে বললে কাস্টমার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন যে, প্রথমে ইমার্জেন্সি বিভাগে তার অবস্থা বোঝার জন্য ৯টি পরীক্ষা করা হয় যার খরচ ধরা হয় ১৪ হাজার ১০৪ টাকা। পরে আইসিইউতে নেয়ার পর বাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। এরমধ্যে সিবিসি, ইলেক্ট্রোলাইট, ডেঙ্গুর টেস্ট করা হয়েছে।" বিলটির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। এরইমধ্যে তাদের একটি প্রতিনিধি দল স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে বিলটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানানো হয়। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, "এই ছাত্রের বিস্তারিত তথ্য আমরা আনতে পাঠিয়েছি। তারা কিভাবে চিকিৎসা দিয়েছে তা আমরা অন্য চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে দেখবো।" তিনি বলেন, "আমরা নজরদারিটা এমন ভাবে করার চেষ্টা করছি যাতে এই ডেঙ্গুর অসময়ে কেউ যেন মানুষকে না ভোগাতে পারে।" "ল্যাবরেটরি টেস্ট কোথায় করিয়েছে সেটা আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবো। সেখানে কত নিয়েছে সেটাও দেখা হবে। আমরা অন্য আরো অনেক ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখবো," তিনি বলেন। মিস্টার শাহরিয়ার বলেন, "ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রোগী ক্রিটিকাল অবস্থায় থাকলে অনেক সময় কিছু ইনজেকশন দেয়া হয় যার দাম ৮-১০ হাজার টাকা হতে পারে। তবে আমরা জানি না যে কি কি ওষুধ দেয়া হয়েছে। এজন্যই আমরা কেস স্টাডিটা আনতে পাঠিয়েছি।" এদিকে, ডেঙ্গু চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য রোববার বিভিন্ন টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য এনএইচ ওয়ান পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ফি। যা আগে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ছিলো। আইজিএম ও আইজিই এর পরীক্ষার জন্য আগে ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা লাগলেও সেটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এছাড়া রক্তের সিবিসি(RBC+WBC+Platelet+hematocrit) এর দাম ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই মূল্য তালিকা কার্যকর থাকবে।
ডেঙ্গু: স্কয়ার হাসপাতালে ২২ ঘণ্টায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিলের তদন্তে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পরিবারের সাথে মো. একরামুল হক। আয়েশা বেগম, টেকনাফের নিহত একরামুল হকের স্ত্রী বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলতে যেয়ে নিজেও কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি বলছিলেন, তার স্বামী হত্যাকাণ্ডের এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষে কোন অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। আয়েশা বেগম বলছিলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা অভিযোগ করতে গেলে তাকে নিষেধ করা হয়। "কোন মামলা হয়নি। মন্ত্রীরা নিষেধ করেছিল কোন কিছু না করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করিয়ে দেবেন বলেছিলেন তারা। বলেছিলেন যা বলার প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন। এখন পর্যন্ত তো কোন টেলিফোন পেলাম না।" সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হকের খুনের বিচার চাইছেন তার পরিবার। আরও পড়তে পারেন: 'ডাকি নিই যাই আমার স্বামীরে তারা মারি ফেলিসে' একরাম হত্যা: বাংলাদেশের পুলিশ কি চাপের মুখে? একরাম 'হত্যার' অডিও: সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় একরামুল হক টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর এবং টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালে ২৬ শে মে মাদক বিরোধী অভিযানে র‍্যাবের সাথে কথিত এক 'বন্দুকযুদ্ধে' তিনি নিহত হন। কিন্তু পরে একরামুলের মোবাইল ফোনে নিহত হওয়ার আগ মুহূর্তের তার স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে কথোপকথন ফাঁস হয়ে গেলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠে এটা তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? এই ঘটনার টেকনাফ থানায় র‍্যাব একটা মামলা করে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস বলছিলেন র‍্যাবের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্তের কাজ চলছে তবে পরিবারের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাননি তারা। প্রদীপ কুমার দাস বলছিলেন, "তদন্ত চলছে, তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না। তবে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ চার্জশিট দেয়া হবে।" তিনি বলেন, "একটি মামলা থাকা অবস্থায় আরেকটি মামলা হয় না। তারপরেও এই মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।" নতুন করে ক্রসফায়ারে কোন মাদক-কারবারির মৃত্যুর খবর শোনা যায়নি। একরামুল হক নিহত হওয়ার পর টেকনাফে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি তখন সেখানে বলেছিলেন, এটা বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড এবং এর তদন্ত কাজ তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। মি. হক বিবিসি'কে জানান, এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও যখন তদন্ত কাজ শেষ হয় না তখন মানবাধিকার কমিশনের এক্ষেত্রে কোন কিছু করার আছে কিনা? মি. হক বলছিলেন " আমরা চাপ সৃষ্টি করছি। তারা তদন্তের জন্য যে সময় পায় সেই সময়টা পারমিশন নিয়ে নিয়ে বাড়িয়ে নিচ্ছে। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বেশি সময় নেয়া হচ্ছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে চার্জশিটটা খুব দ্রুত দিতে হবে এবং বাস্তবসম্মত হতে হবে"। এদিকে নিহত একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলছিলেন পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে, এই এক বছরে স্থানীয় ভাবে একরামুল হকের মৃত্যুর প্রতিবাদের একটা মানব-বন্ধন করতেও মানুষ ভয় পায়।
একরামুল হক হত্যার এক বছরে বিচার কতটা এগিয়েছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ষষ্ঠতম জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি বিশ্লেষণের জন্য এ সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি কমিটির সভা আহ্বান করবেন তিনি। এর আগে আরো পাঁচবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিকভাবে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল---ইবোলা প্রাদুর্ভাব নিয়ে দুইবার, জিকা, পোলিও এবং সোয়াইন ফ্লু। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এবং সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। "বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩০ শে জানুয়ারি যখন আমি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি, তখন চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশো'রও কম এবং কোন মৃত্যুও ছিল না।" "কোভিড-১৯ আমাদের পৃথিবী বদলে দিয়েছে। এটি সারা দুনিয়ার সব মানুষ, কম্যুনিটি আর সব জাতিকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে, আবার বিচ্ছিন্নও করেছে পরস্পরের থেকে।" পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন তিনি উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা গত ছয় সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যা ঘটেছে--- * মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রেইন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলেন। * স্পেন থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরা যে কোন ব্যক্তিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ব্রিটেনের এমন পদক্ষেপের পর স্পেন দাবি করেছে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে এবং ভ্রমণের জন্য দেশটি এখন নিরাপদ। * ভিয়েতনামে এপ্রিল মাসের পর ১৫জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হবার পর উপকূলীয় শহর ডা নাঙ ট্যুরিস্টদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। * মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। * বেলজিয়ামে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে লকডাউন না দিয়ে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে। এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, সীমান্ত বন্ধ করে, অর্থনীতি ক্ষতি সহ্য করে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিন জরুরি অবস্থা জারি রাখা সম্ভব নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসুস তবে, কোন দেশে নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে লকডাউন দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃবৃন্দ। "কিন্তু সেটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত, ছোট ছোট ভৌগলিক এলাকায় এবং কার্যকর।"
করোনা ভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংকট
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
এছাড়া আর্টিস্ট অনন্য মামুন, শাহীন মৃধা, রিতা দেওয়ান, কিশোর ও মুশতাকের বিরুদ্ধে সব ধরণের অভিযোগ প্রত্যাহার করতেও কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি নির্বিচারে আটক কিংবা অন্যান্য উপায়ে হয়রানির মাধ্যমে শিল্পীদের মত প্রকাশের অধিকার ব্যহত হবার মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বেআইনিভাবে আটক সব শিল্পীদের মুক্তি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানুষের শৈল্পিক অভিব্যক্তির স্বাধীন প্রকাশ নিশ্চিত করা উচিত। গত ডিসেম্বরে ঢাকাভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন তার নতুন সিনেমা 'নবাব এলএলবি'-র ট্রেইলার প্রকাশ করেন। যেখানে অভিনেতা শাহীন মৃধা একজন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেন, যিনি আইনি সহায়তা নিতে আসা ধর্ষণের শিকার এক নারীকে হেনস্তা করছেন বলে সিনেমায় দেখানো হয়। আরো পড়ুন: বিবৃতিতে বলা হয়, এই সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশিত হওয়ার পর গত বছরের ২৫শে ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট দুই শিল্পীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিরোধ আইনে মামলা করেন। যেখানে অভিযোগে বলা হয় যে, এটি মানুষের মধ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে ভুল বার্তা দেবে। স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে একে দেশে শৈল্পিক অভিব্যক্তির প্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি বলে উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এক মামলায় লোক সঙ্গীত শিল্পী রিতা দেওয়ান এবং তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়। বাউল গানের একটি আসর ২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে একটি পালাগানে অংশ নিয়েছিলেন রিতা দেওয়ান। এর পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি খারিজ করে দেয় আদালত। বাকি তিনটির বিচার চলছে। ২০২১ সালের ১৩ই জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল একটি মামলায় রিতা দেওয়ানকে জামিন দেয়। ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পুলিশ জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে ঢাকার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। তাদের বিরুদ্ধে "ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো", "জাতির জনকের প্রতিকৃতি", "জাতীয় সংগীত" এবং "জাতীয় পতাকাকে" অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। কিশোর একজন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার বিজয়ী কার্টুনিস্ট যিনি সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের নীতির সমালোচনামূলক কার্টুন আঁকার কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বলে অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে "লাইফ ইন দ্য টাইম অব করোনা" যা তার ফেসবুক পেজ "আই অ্যাম বাংলাদেশি"তে প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন দলের নানা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সমালোচনা করা হয়। মুশতাক আহমেদ কুমির চাষের ডায়েরি নামে বইয়ের লেখক, তিনি "মাইকেল কুমির ঠাকুর" নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য উঠে আসে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় আনা "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে", "জাতির জনক" "জাতীয় সংগীত" বা "জাতীয় পতাকা"র বিরুদ্ধে "প্রোপাগান্ডায়" বা "প্রচারণায়" যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সম্পাদকদের উদ্বেগ ছিল শুরু থেকেই। ২০২০ সালের মে মাসে আটক করার পর তাদেরকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বার বার তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, কোভিড-১৯ এর কারণে তাদের সাথে পরিবারের সদস্যদের দেখা করা বন্ধ করা হয়েছে এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার এর বিকল্প কোন ব্যবস্থাও এখনো করা সম্ভব হয়নি। বিবৃতিতে আটক শিল্পীদের মুক্তি দেয়ার দাবি ছাড়াও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কিংবা অ্যামনেস্টির ভাষায় এর 'দমনমূলক ধারা'র সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচিৎ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নির্দেশনা সমুন্নত রাখা এবং শৈল্পিক ও সৃজনশীল অভিব্যক্তি যাতে কোন ধরণের ভয় ছাড়াই প্রকাশিত হতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
মানবাধিকার: কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাকসহ আটক শিল্পীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি আগুন ধরে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের মাঠেই প্রিমিয়ার লীগের একটি ম্যাচ দেখেছেন তিনি। হেলিকপ্টারটি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। স্টেডিয়ামের বাইরে কার পার্কেই সেটি পড়ে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা যে সেসময় হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটির সূত্রের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পরপরই তিনি লেস্টার সিটির একজন খেলোয়াড়কে স্টেডিয়ামের বাইরে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। হেলিকপ্টারে সেসময় তার সাথে আর কেউ ছিলেন কিনা সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। লেস্টার সিটির মালিকের অবস্থা সম্পর্কেও তার পরিবার, ক্লাব কিম্বা পুলিশের তরফ থেকেও এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কেও এখনও কিছু জানা যায়নি। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সাথে এবং খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এই মালিকের অধীনেই লেস্টার সিটি ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছিল, উঠেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা রায়ান ব্রাউন নামের একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পর হেলিকপ্টারটিকে তিনি কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামের উপরে উড়তে দেখেছেন। বিবিসি লেস্টারকে তিনি বলেন, "ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সেখানে ঘড়ঘড় করার মতো একটা শব্দ হচ্ছিল।" "হঠাৎ করে হেলিকপ্টারটি চুপ হয়ে যায়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে খুব জোরে একটা শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়।" দুর্ঘটনার পরপরই বিভিন্ন জরুরী বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। লেস্টারশায়ারের পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার নিয়ে তাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেস্টার সিটির মেয়র, ক্লাবের সাবেক ফুটবলার এবং ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার এবং ক্লাবের তারকা জেমি ভার্ডি। ওয়েস্ট হ্যাম ক্লাবের পক্ষ থেকেও টুইট করে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা একজন থাই ধনকুবের ব্যবসায়ী। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ডের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি চার নম্বরে। প্রায় চার কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি লেস্টার সিটি ক্লাব কিনেছেন ২০১০ সালে।
খেলা দেখে ফেরার পথে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব লেস্টার সিটির মালিকের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া এখন মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। পরবর্তী দুটো ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত ও নিউজিল্যান্ড। বিতর্কে অস্ট্রেলিয়া ও উড়ন্ত ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের মঞ্চে আসার আগে দুই দলের যাত্রাপথ ছিল ভিন্ন। ইংল্যান্ড ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের স্মৃতি পেছনে ফেলে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল হয়ে ওঠে। গেলো চার বছরে এই দলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। নিউল্যান্ডস বল ট্যাম্পারিংয়ের ঘটনার পর স্টিভ স্মিথ আরো পড়ুন: যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের আজকের ম্যাচ মাশরাফীর প্রতি সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের আহ্বান মাশরাফী কি বিশ্বকাপে নিজের খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট মূলত ইংলিশ তথাকথিত ক্রিকেটের ধারা বদলে আগ্রাসী ও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা শুরু করে ইয়ন মরগানের দল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা মলিন যেন, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যত বিশ্বকাপ তার মধ্যে এই অস্ট্রেলিয়া দলের জৌলুস খানিকটা কম। বড় নামদের পাশে বল ট্যাম্পারিং বিতর্ক। মূল অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এখন সাধারণ ক্রিকেটার। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু মঞ্চটা বিশ্বকাপ বলেই হয়তো অস্ট্রেলিয়া এখন পয়েন্ট টেবিলের দু নম্বরে আর ইংল্যান্ড চার নম্বরে। মুখোমুখি পরিসংখ্যান বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছে মোট সাতবার। যার মধ্যে ৫ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ২ বার ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১৪৭ বার। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮১টি, ইংল্যান্ড ৬১টি। দুটো ম্যাচ হয়েছে টাই এবং তিনটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ দশটি ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে ৯টি, অস্ট্রেলিয়া মাত্র একটি। নজর থাকবে যাদের দিকে.... জোফরা আর্চার বোলার, ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলারদের একজন ইংল্যান্ডের পেস বোলার জোফরা আর্চার। ৬ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গড় ১৭.৯৩। ইকোনোমি রেট ৪.৯০। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরের পরিচিত মুখ ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার মজার ব্যাপার হলো বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে ছিলেন না জোফরা আর্চার। তবে আর্চার বেশ পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের কাছে। বিগ ব্যাশ ক্রিকেটে অনেকেই একসাথে খেলেছেন। ম্যাচ পূর্ববর্তী প্রেস কনফারেন্সেও বারবার উঠে এসেছে আর্চারের কথা, সেখানেই ল্যাঙ্গার বলে দিয়েছেন আর্চারকে নিয়ে ভালোই আলোচনা হয়েছে টিম বৈঠকে। মার্কাস স্টোইনিস অল-রাউন্ডার, অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এখন মার্কাস স্টোইনিস। বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। খুব দ্রুত প্রান্ত বদল করতে পারেন স্টোইনিস। তবে বল হাতে তার ভূমিকা আরো বড়। মার্কাস স্টোইনিস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যাদের বলে বৈচিত্র্য আছে তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা স্টোইনিস। বাংলাদেশের ম্যাচেও সাকিব আল হাসানের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ভূমিকা রাখেন তিনি। বাকযুদ্ধ দুই দলের মাঝে বল ট্যাম্পারিংয়ে জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান ঘোষণা দিয়েছেন লর্ডসে খুব সাদরে গ্রহণ করা হবে না তাদের। নিউল্যান্ডসের শোক কাটিয়ে ওয়ার্নার বিম্বকাপেই ফিরেছেন পুরো ফর্মে এর আগে কোহলি ভারতের সমর্থকদের থামিয়ে দিয়েছিলেন তারা যখন স্টিভ স্মিথকে উদ্দেশ্য করে বাক্যবাণ ছুড়েছিল। কিন্তু মরগান বলে দিয়েছেন এমন কিছুই করবেন না, ভক্তরা যা চায় তা করতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাইক হাসির চোখে সাকিব সর্বকালের সেরা তালিকায় মুসলিম যুবক হত্যার ঘটনায় ভারতে পাঁচজন গ্রেফতার যেভাবে আফগান বাধা টপকালো বাংলাদেশ তুরস্কে নিজের প্রতিপক্ষ পেয়ে গেছেন এরদোয়ান?
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে আলোচ্য বিষয় কী?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মরক্কোর বাদশাহ মোহামেদ এবং ইসরায়েলের বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আগের তিনটি দেশের মতই - মরক্কোকেও রাজী করিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার এই সিদ্ধান্তের ঘোষণাও এসেছে হোয়াইট হাউজ আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটার আ্যাকাউন্ট থেকে, তেল আবিব বা রাবাত থেকে নয়। কিন্তু যে পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মরক্কোকে তার তথাকথিত “আব্রাহাম চুক্তির“ অংশীদার করেছেন - তার সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিতে শুরু করেছে। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ওয়েস্টার্ন আফ্রিকা নামে সাবেক স্প্যানিশ উপনিবেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যে বিরোধ চলছে - তাতে সরাসরি পক্ষ নিয়ে মি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ঐ এলাকার ওপর মরক্কোর একক সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মরক্কো অত্যন্ত খুশী। কারণ যার জন্য তারা ১৯৭৫ সাল থেকে চেষ্টা করছে, তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মত বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তির স্বীকৃতি যে মরক্কোর জন্য বড় একটি কূটনৈতিক সাফল্য - তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সংঘাতের নূতন রেসিপি কিন্তু বাস্তবে ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় সার্বভৌমত্ব কায়েম করা কতটা সহজ হবে মরক্কোর জন্য? এই এলাকায় স্বাধীন একটি দেশ গঠনের লক্ষ্যে যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত চার দশক ধরে সশস্ত্র আন্দোলন করছে সেই পলিসারিও ফ্রন্টের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে - তারা একে প্রতিরোধ করবে। ওয়েস্টর্ন সাহারায় মরক্কোর সেনাবাহিনীর একটি চেকপয়েন্ট পলিসারিও ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় মরক্কোর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তারা বলেছে, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের সনদের নগ্ন লঙ্ঘন।“ ইউরোপে এই সংগঠনের প্রতিনিধি ওবি বিচারিয়া রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি এই বিরোধের বাস্তবতা বদলাতে পারবেনা, ওয়েস্টার্ন সাহারার মানুষের স্বাধিকারের আকাঙ্ক্ষাকে এক বিন্দু টলাতে পারবে না।“ লন্ডনে রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ওয়েস্টার্ন সাহারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মরক্কোর জন্য একটি “কূটনৈতিক বিজয়“ সন্দেহ নেই, “কিন্তু এই বিজয়ের ফসল কীভাবে, কত সহজে তারা ঘরে তুলতে পারবে, তা অনিশ্চিত।“ মি. হামদি মনে করেন, পলিসারিও ফ্রন্টের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হবে আলজেরিয়া। “আলজেরিয়া পলিসারিও ফ্রন্টের প্রধান সমর্থক, ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ মরক্কোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মত পরাশক্তির এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে তারা চ্যালেঞ্জ করবে তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে আলজেরিয়া - সন্দেহ নেই।“ সাদি হামদি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে হলে আলজেরিয়াকে এখন বড় কোনো শক্তিধর দেশের মুখাপেক্ষী হতে হবে। “রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতে পারে আলজেরিয়া, কারণ আরব দুনিয়ায় এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকায় তাদের সামরিক রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে রাশিয়া বেশ অনেকদিন ধরেই সচেষ্ট।" "নতুন এই বিরোধ রাশিয়ার জন্য একটা সুযোগ“ - বলেন তিনি। “ফলে ইসরায়েল-মরক্কো চুক্তি এবং তার শর্ত উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত এবং মেরুকরণের সূচনা করতে পারে। সংঘাত সংঘর্ষ এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে।“ আর তেমন দলাদলি মেরুকরণ শুরু হলে তাতে ইসরায়েলের বৈরী দেশ ইরানের ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে আরব দেশ মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সমঝোতা: 'আমাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে' ইসরায়েলের সাথে কিছু আরব দেশের 'গোপন মৈত্রী'? ইসরায়েল-সৌদি আরব গোপন বৈঠকের পেছনে কী হিসেব-নিকেশ কাজ করেছে? এক পা এগিয়ে দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব, হতাশ ইসরায়েল ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? জেরুজালেমে গবেষণা সংস্থা বেগিন-সাদাত সেন্টার অফ স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের গবেষক ড রাফায়েল জি বচনিক সংস্থার অনলাইন প্রকাশনায় লিখেছেন, এমন প্রমাণ রয়েছে যে আগেও আলজেরিয়ার মাধ্যমে ইরান পলিসারিও যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। ড. বচনিক - যিনি একসময় ইসরায়েলি সেনা গোয়েন্দা বিভাগের বিশ্লেষক হিসাবে কাজ করতেন - লিখেছেন, পলিসারিও ফ্রন্টকে সাহায্য করার অভিযোগেই ২০১৮ সালের মে মাসে মরক্কো ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, এবং রাবাত থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, বড় কোনো বিরোধ এখনই হয়তো চোখে পড়বে না। তিউনিসে বিবিসির উত্তর আফ্রিকা সংবাদদাতা রানা জাওয়াদ বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে ওয়েস্টার্ন আফ্রিকা নিয়ে চলতি বিরোধের মৌলিক কোনো বদল ঘটবে বলে তিনি মনে করেন না। কারণ, তার মতে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের খেয়ালিপনার চেয়ে এই সমস্যার জটিলতা অনেক গভীর।“ তবে, রানা জাওয়াদ বলেন, মি ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে কারণ এই অঞ্চলের মানুষ কয়েক দশক ধরে যে স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখছে তা অনেকটাই চোট খাবে। সাদি হামদিও বলছেন, ইসরায়েল-মরক্কো চুক্তির প্রভাবে কী হতে পারে তা এখনও অনেকটাই অনিশ্চিত। স্পেনের মাদ্রিদে ওয়েস্টার্ন সাহারায় স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে সাহরাওয়িদের বিক্ষোভ, অক্টোবর ২০২০ “জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর কি তিনি কি তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে একই রকম আগ্রহ দেখাবেন? তিনি কি ওয়েস্টার্ন আফ্রিকায় মরক্কোর সার্বভৌমত্ব অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের ওপর চাপ তৈরি করবেন? লিবিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য যে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ সেই আলজেরিয়াকে তিনি কতটা চটাবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও ধোঁয়াটে।“ ওয়েস্টার্ন সাহারা: বিরোধের ইতিহাস ১৯৭৫ সালে ওয়েস্টার্ন সাহারায় স্পেন তাদের ঔপনিবেশিক শাসন শেষ করার পর মরক্কো এ অঞ্চলে তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে। কিন্তু বাদ সাধে অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা যারা সাহরাওয়ি নামে পরিচিত, এবং বর্তমানে যাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখের মত। সাহরাওয়য়ি আরব ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক নামে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে শুরু হয় সশস্ত্র বিদ্রোহ - যাতে সরাসরি সমর্থন যোগায় আলজেরিয়া। বিদ্রোহী পলিসারিও ফ্রন্টের সদর দপ্তরও আলজেরিয়ার টিনডফ শহরে। আলজেরিয়ায় এখনও প্রায় লাখখানেকের মত সাহরাওয়ি শরণার্থী রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর লড়াইয়ের পর ১৯৯১ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, এবং সিদ্ধান্ত হয় যে জাতিসংঘের তত্বাবধানে একটি গণভোটের মাধ্যমে এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। কিন্তু গত ৩০ বছরেও সেই গণভোট করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতির পর গত মাস দুয়েক ধরে নতুন করে পলিসারিও ফ্রন্ট এবং মরক্কোর সেনাবাহিনীর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যার জন্য দু পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করছে। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ হয়তো মরক্কোকে যুক্তরাষ্ট্রের কথা মেনে ইসরায়েলের সাথে চুক্তি করতে উৎসাহ জুগিয়েছে।
মরক্কো-ইসরায়েল চুক্তি: উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত-দলাদলির রেসিপি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড মিসেস জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাদেরকে ২ কোটিরও বেশি অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন। সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন, তার ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে এবং সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে। প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম চলেছে। এরমধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, এবং ১৬ দিন ধরে যুক্তিতর্ক চলেছে। আদালতে হাজির না হওয়ায় কয়েকবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে বলেছেন, এই ঘটনায় খালেদা জিয়া জড়িত নন, এবং সেই টাকাও আত্মসাৎ করা হয়নি, কারণ এসব টাকা এখনো ব্যাংকের হিসাবেই জমা রয়েছে। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে করা সবগুলো মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা, যার কোনোটির আইনি ভিত্তি নেই। এই মামলাটিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট বলেও তিনি বর্ণনা করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, আদালতে তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন।
'জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নতুন ভোটার আসিফ সাজ্জাদের প্রত্যাশা দুইটা ছোট এই উপজেলায় বাজারের মধ্যে একটা বটতলা। সেখানেই সকালের নরম রোদে, চা হাতে অনেকের আলাপের বিষয় নির্বাচন, প্রার্থী, আরো অনেক বিষয়। এবারেই প্রথমবারের মত ভোটার হয়েছেন আসিফ সাজ্জাদ। নতুন ভোটার হিসেবে তার উৎসাহের কমতি নেই। তবে তার প্রত্যাশা দুইটি। তিনি বলছিলেন "পূর্বে দেখেছি ভোট দিতে যেয়ে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিয়েছে। আমি চাই আমার ভোটটা যেন আমি সুষ্ঠুভাবে দিতে পারি। আরেকটা বিষয় আমাদের একটা ব্রিজ দরকার যেটা দরকার বালাসি এবং বাহাদুরবাদে। যে এমপি-মন্ত্রী হোক না কেন তার কাছে আমাদের এটা প্রাণের দাবি। এটা করলে ফুলছড়ি, সাঘাটার বড় উপকার হবে"। ভালো স্কুল,কলেজের দাবী তুলেছেন ভোটাররা বটতলার এই চায়ের দোকানের মত দৃশ্য অনেক স্থানে দেখতে পেলাম। বাজারের বটতলা থেকে আমি হেঁটে গ্রামের মধ্যে যাই সেখানকার মানুষের এই নির্বাচনকে ঘিরে কী চিন্তা সেটা জানার জন্য। একজন গৃহিণী জেসমিন আরা বেগম বলছিলেন সাঘাটায় কোন ভালো স্কুল -কলেজ নেই যেখানে ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করে ভালো কিছু করতে পারে। সংসদ নির্বাচনের ফলাফল: ১৯৯১-২০১৪ (বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী) আরো পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের অঙ্গীকার দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় ঐক্যফ্রন্ট ইশতেহারকে 'ফাঁকা বুলি' বলছেন বিশ্লেষক তিনি বলছিলেন "এই ফুলছড়ি এবং সাঘাটা খুব অবহেলিত। এখানে একটা ভালো কলেজ নেই। অনেক পরিবারের ছেলেমেয়ের পড়ালেখা এইচএসসির পর শেষ হয়ে যায়। অনেকে বাইরে টাকা দিয়ে পড়াতে পারে না। আমারো ছেলে মেয়ে আছে। তাই আমি চাই এখানে যেন একটা ভালো কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হোক। ছেলেমেয়ের চাকরির দরকার আছে। পড়াশোনা না করতে পারার কারণে সেটা হয়ে ওঠে নি"। ফুলছড়ি উপজেলাটি অবস্থিত যমুনা নদীর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। নদী ভাঙ্গন এলাকা হিসেবে পরিচিত। তাই এখানকার মানুষের একটা বড় দাবী শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি। আমি একটা ধান খেতের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি অদূরে যমুনা নদী। এবারে ত্রিমুখী লড়াই এ পড়তে হবে ভোটারদের ক্ষেতে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন কৃষক। তাদের একজন খাজা মইনউদ্দিন। তিনি বলছিলেন এই নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে পারলেই অনেকে ভোট দেবে প্রার্থীদের। তিনি বলছিলেন "পাঁচ বছর আগে শুনেছি এই নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাজ হয়নি। তো যেই প্রার্থী আমাদের এই নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করবেন আমি তাকেই ভোট দেব। কারণ নদী ভাঙ্গনে আমাদের ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি সব বিলীন হওয়ার পথে"। তবে এই এলাকায় মানুষদের এবারের নির্বাচনে স্থানীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ত্রিমুখী জটিলতায় পরতে হবে। কারণ এখানে এবারে শুধু আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয় ,এখানকার আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৪৩১৮ ভোটে আওয়ামী লীগ জিতে যায়। সেবার জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ ছিল। কিন্তু এবারে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা না হওয়াতে জাতীয় পার্টি নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে। একদিকে বিএনপি অন্যদিকে জাতীয় পার্টি দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে কীভাবে সামাল দেবে আওয়ামী লীগ। শামসুল আরেফিন টিটু ৫ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মি. টিটু বলছিলেন "ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার কারণে আসনটা আওয়ামী লীগের ফেভারে যাবে। গতবারের চেয়ে ভালোভাবে আওয়ামী লীগ জিতবে। কারণ জাতীয় পার্টি না থাকলে ভোট গুলো বিএনপির দিকে যেতে পারতো। সেটা এখন আর হবে না। আর প্রার্থী বিচারে আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার, আর তিনি স্থানীয় উন্নয়নে কাজ করেছেন"। এদিকে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করায় নিজেদেরকে শক্তিশালী মনে করছে বিএনপি। গাইবান্ধার এই আসনটি জাতীয় পার্টি সমর্থিত এলাকা। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের অংশ হওয়ার পর তাদের ভোটব্যাংক চলে যায় আওয়ামী লীগের দিকে। ফলে জয়টা অনেকটা সহজ হয় তাদের জন্য। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তাতে করে বিএনপি মনে করছে এখন তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। কারণ বিএনপির রয়েছে শক্ত প্রার্থী। তেমনটাই বলছিলেন গাইবান্ধার জেলা বিএনপির নেতা শহিদুল ইসলাম। মি. ইসলাম বলছিলেন "এই এলাকা নদী ভাঙ্গন, চর এলাকা। এর আগের প্রার্থীরা অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কোন কাজ করেনি। কিন্তু এখন মানুষ অনেক সচেতন। আগে আমাদের শক্ত প্রার্থী ছিল না, সব ভোট আওয়ামী লীগ অথবা জাতীয় পার্টিতে গেছে। এবারে তারা দুই ভাবে বিভক্ত আর আমাদের শক্ত প্রার্থী আছে। মানুষ যদি ভোট কেন্দ্র যেতে পারে তাহলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে"। নদী ভাঙ্গন এখানকার মানুষের বড় উদ্বেগের কারণ তবে মহাজোট থেকে বের হয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে দাঁড়ানোটাকে অনেক স্থানীয় নেতা ভালো ভাবে দেখছেন না। জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা ইব্রাহিম খলিল বলছিলেন জোট থেকে বের হয়ে তাদের একটু দুর্বল অবস্থা তৈরি হতে পারে। তবে অতীত ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে তিনি নির্বাচনে ভালো একটা লড়াই এর প্রত্যাশা করছেন। তিনি বলছিলেন "আসনটা জাতীয় পার্টির। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির ছিলেন একসময়। আবার বিএনপি এবার বেশ জোরে শোরে নেমেছে, সব মিলিয়ে বলতে গেলে জাতীয় পার্টি একটু দুর্বল মনে হতে পারে কিন্তু আমরা আশাবাদী"। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়ের সামনে চলছে এই আলোচনা এবং নির্বাচন কেন্দ্রিক নানা তৎপরতা। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে যে ২৯ টি আসন দেয়া হয়েছে গাইবান্ধা ৫ আসন তার মধ্যে একটি। এর সঙ্গে রয়েছে ২০০৮ সালের কম ব্যবধানের জয়-পরাজয়ের ইতিহাস। সব মিলিয়ে এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে, যেখানে আবারো জয়-পরাজয় হয়ত কম ভোটের ব্যবধানে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বী মিয়া, বিএনপির ফারুক আলম সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির যজ্ঞেশ্বর বর্মন। অন্যান্য খবর: ইয়েমেনের জন্য সংগ্রহ করা ত্রাণ কোথায় যায়? সৌভাগ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে চারটি বিষয়
সংসদ নির্বাচন: গাইবান্ধা ৫ আসনে কেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক বরখাস্ত হওয়াদের তালিকায় এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার দেশটির ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের বর্তমান প্রধান ক্রিস্টোফার মিলার শিগগিরই মিস্টার এসপারের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। মার্ক এসপারকে বরখাস্তের পরপরই মিস্টার মিলারকে প্রতিরক্ষা সদর দফতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। অগাস্টে কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের দায়িত্ব নেয়ার আগে মিস্টার মিলার স্পেশাল ফোর্সের সাবেক সৈন্য হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বরখাস্ত হওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যেই বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কেন বরখাস্ত হলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল 'মেয়েদের দেহে স্পর্শ দোষের কিছু না, এটা ট্রাম্প বলেছেন' এবার ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’ ব্যাননকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী হোপ হিকস কে? ক্রিস্টোফার মিলার তবে মার্ক এসপার ইতোমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন যেখানে গত ১৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে পেন্টাগনের অর্জনের জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। "আমি সংবিধান অনুযায়ী দেশ সেবা করেছি এবং সে কারণেই আমি আমাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি," পদত্যাগপত্রে লিখেছেন তিনি। তবে শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলসি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করে নেননি বরং আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। মিস্টার বাইডেন আগামী ২০শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প -এসপার বিরোধের কারণ চলতি বছরের শুরুতে বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদে সেনা মোতায়েন নিয়ে হোয়াইট হাউজের সাথে বিরোধে জড়ান মার্ক এসপার। মিনেসোটায় পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের মারা যাওয়ার পর গড়ে ওঠা আন্দোলনের সময় বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছিলেন মিস্টার ট্রাম্প। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মার্ক এসপার গত জুনে এটিকে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছিলেন যা হোয়াইট হাউজকে অসন্তুষ্ট করেছিলো। এ মত বিরোধের জের ধরে মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করা হতে পারে ধারণা গড়ে ওঠেছিলো। মিস্টার এসপার ন্যাটোর প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথেও একমত ছিলেননা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে জানালেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেছেন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন জরুরী সেবা বাধাগ্রস্ত হবে এর আগে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে রোববার সন্ধ্যায় ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখতে সব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপি, মোবাইল অপারেটর এবং ওয়াইম্যাক্স অপারেটরদের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। সংস্থাটির সচিব ও মুখপাত্র সারওয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার প্রেক্ষাপটে সকালে ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। সকালে বিটিআরসি থেকে সব ইন্টারনেট গেটওয়েকে নতুন এক নির্দেশনা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেটের গতি কমানোর বিষয়ে আগের নির্দেশনা স্থগিত থাকবে। যদিও সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে মিঃ আলম সরাসরি কিছু জানাননি। আরো পড়ুন: ইন্টারনেটের গতি কমানোর উদ্যোগ কতটা সফল হবে? হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ ইন্টারনেটের গতি কমানোর ফলে ব্যাংক, বিমান চলাচল, আউটসোর্সিংসহ অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন জরুরী সেবা বাধাগ্রস্ত হবার আশংকা দেখা দেয়। সেই প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত আসে। এর আগের নির্দেশনায় এ মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছিল। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, সরকারের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিঃ মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে এর আগে বলেছেন, সরকারের নির্দেশনায় ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। "আমরা দেখছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কিছু পাচার হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা একটা চেষ্টা মাত্র।" "কতটা সফল হবে এ চেষ্টা তা আমরা এখনো নিশ্চিত না।" এর আগে গতরাতে ধীর গতিতে ইন্টারনেট চালানোর সিদ্ধান্ত পরীক্ষামূলক-ভাবে বাস্তবায়ন করেছে বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবে রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা পরীক্ষামূলক-ভাবে দেশের সব ইন্টারনেট প্রোভাইডারের ব্যান্ডউইথ প্রতি সেকেন্ড ২৫ কিলোবাইটের মধ্যে সীমিত রাখা হয়। সে সময় কার্যত বন্ধই ছিল ইন্টারনেট। বাংলাদেশে এই মূহুর্তে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা আট কোটির বেশি। যার বড় অংশটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে ২০১৫ সালে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে একবার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও সে সময় ২২ দিন বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ রেখেছিল সরকার।
বাংলাদেশে কার্যকরের আগেই স্থগিত ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামছে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু এ নিয়ে দৃশ্যত কোন অগ্রগতি না হওয়ায় আন্দোলনকারীরা আবার রাস্তায় ফিরে এসেছে। তাদের অভিযোগ সরকার বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করছে। এমনকি তাদের আন্দোলন দমনের জন্য দমন-পীড়নও শুরু করেছে। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান আসলে কি? কবে, কখন, কিভাবে সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করবে, সেটা নিয়ে কেন এত অস্পষ্টতা? পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও গত আড়াই মাসে কোটা বাতিলের ব্যাপারে সরকারি কোনো প্রক্রিয়া দৃশ্যমান ছিল না। এই প্রেক্ষাপটেই গড়িমসির অভিযোগ করে আসছিলেন আন্দোলনকারিরা। এখন শিক্ষার্থীদের নতুন আন্দোলনের মুখে মন্ত্রঅপরিষদ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে। একই সাথে সরকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোটা রাখার পক্ষে সংসদে বক্তব্য আসায় ছাত্রদের মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে সরকার কঠোর হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের এমন অবস্থানের পিছনে রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ মানতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম। তিনি বলেছেন, "জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দাবি করেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা রাখা হোক এবং তখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এটা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে পুনর্বিবেচনা করে কিভাবে হবে বা কতটুকু, সেটাতো এই কমিটি দেখবে।" "একটি প্রশ্ন হলো, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কত এবং তারা এর থেকে উপকৃত হচ্ছেন কিনা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা, তাদের জন্য কত অংশ আসবে? এগুলোওতো দেখা দরকার। সেজন্য এটার সমাধান সহজ নয়।" আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে আবার বলছেন, এই আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোটা বাতিলের বিষয়কেই মুল টার্গেট করা হয়েছে বলে তারা এখন বিশ্বাস করেন। তাদের সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোটার হার বাড়িয়েছিল। এখন তা আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই বাতিল করার বিষয়টি তাদের জন্য রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয় বলে তারা মনে করেন। এইচ টি ইমাম: 'বিএনপি এই আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে।' কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বিষয়টাতে তাদের ভোটব্যাংকে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। আর সেকারণে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন রাজনৈতিকভাবে বক্তব্য তুলে ধরছেন। কিন্তু এইচ টি ইমাম বলেছেন, বিরোধীদল বিএনপি যেহেতু এই আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে, সেকারণে তারাও একটা অবস্থান রাখছেন। কোটা বিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা যেমন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে কি ভারত প্রভাব খাটায়? ইউএনও'দের রাজনীতি নিয়ে তদন্ত: প্রশাসনে তোলপাড় গুহা থেকে ১৩ জনকে বের করার সম্ভাব্য উপায়গুলো কী? একইসাথে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী গত দু'দিনে ঢাকায় এবং রাজশাহীতে আন্দোলনকারিদের উপর হামলা করেছে। গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগের অন্যান্য সূত্রগুলো বলছে, এই আন্দোলন যাতে অন্যদিকে মোড় না নেয়, সে কারণেও তারা এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান রাখছে। ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতা এনামুল হক শামীম বলেছেন,এই আন্দোলনের নেতাদের অনেকের ব্যাপারে তাদের মধ্যে এখন সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যারয়ের শিক্ষক নাসরিন সুলতানা মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যেমন আওয়াম লীগের ভোটব্যাংক আছে। তেমনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হলে সেখানেও ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা অবশ্য সব ধরণের ঝুঁকির বিষয় বিবেচনায় রাখার কথা বলছেন এবং সে কারণে তারা কৌশলে এগুচ্ছেন। ফলে তাদের এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এটা মনে হয়েছে যে,তারা একটা সিদ্ধান্ত দিতে অনেকটা সময় নেবেন।
বাংলাদেশে সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিল নিয়ে আওয়ামী লীগ কেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জুনাইদ বাবুনগরী এ কদিন বাংলাদেশে মামুনুল হক নামে একজন ইসলামী নেতার ভাস্কর্য-বিরোধী অবস্থান উত্তাপ ছড়াচ্ছিল, যার সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় শুক্রবার ভাস্কর্যের পক্ষে-বিপক্ষে কিছু বিক্ষোভ দেখা যায়। ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে বলপ্রয়োগও করতে হয়। এরকম পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে পূর্বনির্ধারিত একটি ইসলামিক অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরতও থাকেন মামুনুল ইসলাম, যিনি নিজে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। সেই একই অনুষ্ঠানে গিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী বললেন, "আমি কোন পার্টির নাম বলছি না, কোন নেতার নাম বলছি না.... কেউ যদি আমার আব্বার ভাস্কর্য স্থাপন করে, সর্বপ্রথম আমি আমার আব্বার ভাস্কর্যকে ছিঁড়ে, টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেব"। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি স্কুল মাঠে তিন দিনের একটি ওয়াজ মাহফিলের সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মি. বাবুনগরী। ২০১৪ সালে এক বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মদিনা সনদ বাস্তবায়ন করা হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, "মদিনা সনদে যদি দেশ চলে, তাহলে কোন ভাস্কর্য থাকতে পারে না"। "মদিনা সনদে যদি দেশ চলে, ইসলামবিরোধী কোন কাজ হতে পারবে না... ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রী দেবে না, দেবে না। কারণ উনি নিজে ঘোষণা করেছেন মদিনা সনদে দেশ চলবে।" তবে তিনি এও বলেন, তিনি বা তার সংগঠন কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তারা সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও নয়। প্রয়াত আহমদ শফী, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর যেভাবে বিতর্কের শুরু: প্রায় দুই মাস ধরে ঢাকার ধোলাইপাড় চত্বরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য তৈরি করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছিল অনেকগুলো ইসলামপন্থী দল। অক্টোবরের শুরু থেকেই ভাস্কর্য তৈরির প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি দল ঢাকার কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু খেলাফত মজলিশের নেতা মামুনুল হক গত তেরই নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীর্ব্র সমালোচনা করেন। পনেরাই নভেম্বর এক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন মি. হক। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুঁড়ে ফেলবেন। তার ওই বক্তব্য সরকারি দল আওয়ামী লীগে অস্বস্তি তৈরি করে। এরপর আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। ঢাকায় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয়ভাবেও সামবেশ করে ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারীদের উচিৎ জবাব দেবার হুমকি দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারই চট্টগ্রামে জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ থেকে মামুনুল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় এবং শুক্রবার তাকে চট্টগ্রামে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচীর জবাবে ঢাকায় ইসলামপন্থীরা একটি বিক্ষোভ দেখালে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। জুনায়েদ বাবুনগরী শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দেয়া বক্তব্যে মূলত ভাস্কর্য ইস্যু নিয়েই কথা বলেন। এছাড়া আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক, বয়কট ফ্রান্স এবং কাদিয়ানি ইস্যু নিয়েও কথা বলেন। তিনি বক্তব্য শেষ করেন, যারা গতকাল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাদেরকে অভিসম্পাত দেয়ার মধ্যে দিয়ে। বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এর আগেও ভাস্কর্য তৈরির বিরোধিতা এবং ভাস্কর্য অপসারণের দাবি এসেছে। তিন বছর আগে ২০১৭ সালে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে গ্রীক দেবীর আদলে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের বিরোধিতার মুখে সেই ভাস্কর্য সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কে এই জুনায়েদ বাবুনগরী? হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতা তিনি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা আহমদ শফীর মৃত্যুর দুমাস পর গত ১৫ই নভেম্বর এক সম্মেলনে মি. বাবুনগরী হেফাজতে ইসলামের আমীর নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি সংগঠনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন। কিন্তু উত্তরাধিকার নির্বাচন নিয়ে আহমদ শফির সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। আহমদ শফির মৃত্যুর আগেই তাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এক পক্ষে জুনায়েদ বাবুনগরী ও অন্য তরফে আহমেদ শফীর ছেলে আনিস মাদানী তাদের অনুসারীদের নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যান। সতেরোই নভেম্বর হেফাজত ইসলামের সম্মেলনটি আনিস মাদানী ও তার অনুসারীদের বাদ দিয়েই করা হয়েছিল। ব্লগারদের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে হেফাজতে ইসলাম আলোড়ন তুলেছিল ২০১৩ সালে। এরপর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমীর আহমদ শফীর সাথে সরকারের সখ্যতা গড়ে ওঠে।। গত কয়েক বছর ধরে সরকারের সাথে সখ্যতার প্রশ্নে সংগঠনটিতে পক্ষে-বিপক্ষে দু'টি ধারার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সরকার-বিরোধী বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের নেতারাও সংগঠনটিতে রয়েছেন।
ভাস্কর্য বিতর্ক: এবার হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী স্বয়ং কঠোর বক্তব্য তুলে ধরলেন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর সঠিকভাবে প্রকাশ না করায় চীনের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা হচ্ছে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাঢানম গেব্রেইসাস সাংবাদিকদের বলেছেন, "এখন রোগটির একটি নতুন নাম রয়েছে আমাদের কাছে। সেটি হলো কোভিড-১৯।" এটি 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়ানোর পর এই ঘোষণা এলো। ডাক্তার গেব্রেইসাস বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগ্রাসীভাবে এই নতুন ভাইরাসের মোকাবেলা করার জন্য। করোনাভাইরাস শব্দটি রোগ সৃষ্টিকারী নতুন ভাইরাসটিকে উল্লেখ না করে ঐ গ্রুপের সব ভাইরাসকে ইঙ্গিত করে। ভাইরাসের নাম প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব ট্যাক্সনমি অব ভাইরাসেস এই ভাইরাসটিকে সার্স-সিওভি-২ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। কোনো বিশেষ গ্রুপ অথবা দেশকে কেন্দ্র করে যেন ভীতি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক একটি নাম দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন গবেষকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, "আমাদের এমন একটি নাম খুঁজতে হয়েছে যেটি কোনো বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চল, কোনো প্রাণী, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না, পাশাপাশি যা সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং নতুন ভাইরাসটির সাথেও যার সম্পর্ক আছে।" "একটি নির্দিষ্ট নাম থাকলে ভুল বা অপবাদসূচক কোনো নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা সম্ভব। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও একটি নাম থাকলে সেটিকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।" নতুন নামটি তৈরি করা হয়েছে 'করোনা', 'ভাইরাস' ও 'রোগ' শব্দগুলো থেকে। ২০১৯ দ্বারা রোগটির ছড়িয়ে পড়ার বছর বোঝানো হয়েছে। চীনে বর্তমানে ৪২ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ২০০২-২০০৩ সালে সার্স মহামারীতে হওয়া মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়েছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: 'অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না' করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন শুধু হুবেই প্রদেশেই সোমবার ১০৩ জন মারা গেছে, যা একদিনে হওয়া মৃত্যুর হিসেবে রেকর্ড। চীন সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৬ জন। তবে নতুন করে সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২০% নেমে ৩ হাজার ৬২ জন থেকে হয়েছে ২ হাজার ৪৭৮ জন। রোগটি যখন প্রথম ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি - এমন অভিযোগে বলে চীনের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা হচ্ছে। শুরুর দিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এক ডাক্তার, যার সতর্কবার্তা গোপন করার চেষ্টা করেছিল চীনের কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ঐ ডাক্তারের মৃত্যু হওয়ার পর চীনে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে 'অপসারণ' করেছে বেইজিং। যাদের মধ্যরে রয়েছে হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের দলীয় সম্পাদক ও কমিশনের প্রধান। এখন পর্যন্ত পদ থেকে অপসারিত হওয়া সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা তারাই। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করতে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা জেনেভায় বৈঠক করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডাক্তার ঘেব্রেয়েসাস মন্তব্য করেছেন যে এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়া হলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ণ্ত্রণ করা সম্ভব। চীনের নেয়া পদক্ষেপ এই রোগকে 'বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রেখেছে' বলে মন্তব্য করে তাদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সতর্ক করেছে যে চীনের অর্থনীতিতে টানাপোড়েনের প্রভাব সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
করোনাভাইরাস-এর কারণে সৃষ্ট রোগটির নাম দেয়া হলো 'কোভিড-১৯'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তারা বলছেন, একটি পিৎজা ক্যালোরি পোড়াতে চার ঘণ্টা হাঁটতে হয় এবং একটি চকলেট বার খেলে তার ক্যালোরি পোড়াতে ২২ মিনিট দৌড়াতে হয়- এ ধরণের তথ্য খাবারের জ্বালানি ব্যয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে। প্রাথমিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারের মোড়কে এ ধরণের লেবেল থাকলে তা মানুষকে কম পরিমাণ ভোগ করতে উৎসাহিত করবে। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গঠনকে উৎসাহিত করা। লফবারো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যারা এ ধরণের অন্তত ১৪টি গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন তারা বলছেন যে, মোড়কের গায়ে এ ধরণের লেবেলিং থাকলে একজন ব্যক্তি দৈনিক অন্তত ২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করেন। ক্যালোরি কী? •একটি খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় থেকে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয় ক্যালোরি দিয়ে। •একজন পুরুষের দৈনিক ২৫০০ কিলোক্যালোরি এবং একজন নারীর দৈনিক ২০০০ কিলোক্যালোরি দরকার হয় তাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য- শ্বাস নেয়া থেকে শুরু করে দৌড়ানো পর্যন্ত সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত। •যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে দেহে স্থূলতা দেখা দেয় কারণ অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়। •এমনকি প্রতি দিন একটু একটু বেশি খেলেও তা জমা হয়। এটা হয়তো খুব বেশি কিছু মনে হচ্ছে না, তবে এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ জার্নালে গবেষকরা বলেছেন যে, সারা দেশে স্থূলতা বৃদ্ধির উপর এর প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্থূলতা রয়েছে। প্রধান গবেষক অধ্যাপক আমান্ডা ডালি বলেন, "আমরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, তারা যা খাচ্ছে অর্থাৎ তারা যাতে তাদের খাবার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে।" খাবারে লেবেলে যদি "ব্যায়াম ও ক্যালোরি" সম্পর্কিত তথ্য থাকে তাহলে মানুষ বুঝতে পারে যে তারা কি খাচ্ছে এবং তা তাদেরকে খাবারের ব্যাপারে আরো ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অধ্যাপক ডালি বলেন, অনেক মানুষ বুঝতে পেরে অবাক হবে যে, কিছু কিছু স্ন্যাকস বা নাস্তায় থাকা ক্যালোরি ঝরাতে তাদেরকে কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। "আমরা জানি, খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি আছে তা মানুষ প্রায়ই অবজ্ঞা করে থাকে,"তিনি বলেন। আরো পড়ুন: কর্মচারীর প্রেমে পড়ে চাকরি গেল ম্যাকডোনাল্ডস বসের জর্জ বুশ পিৎজা খাওয়ালেন তাঁর নিরাপত্তা দলকে ফুচকা উৎসবে ঢাকার খাদ্য রসিকদের ভিড় "তাই উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি চকলেট মাফিন কেনেন এবং এতে যদি ৫০০ ক্যালোরি থাকে তাহলে এটি ঝরাতে আপনাকে ৫০ মিনিট দৌড়াতে হবে।" "এটা অবশ্যই ডায়েটিংয়ের বিষয় নয়।" "এটা মানুষকে জানানো যে আপনি যখন খাবার খান তখন এর একটি জ্বালানি খরচ আছে, যাতে তারা এ নিয়ে চিন্তার সুযোগ পায় 'আমি কি আসলেই এই চকলেট কেক ঝরাতে দুই ঘণ্টা পরিশ্রম করতে রাজি আছি?' এই চকলেট কেকটি কি আসলেই তার জন্য উপযুক্ত?" ঝুঁকি বাড়াতে পারে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দ্য রয়্যাল সোসাইটি যত শিগগির সম্ভব এই লেবেল চালু করতে চাইছে এবং তারা মনে করছে যে, অনেক ভোক্তাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন। তারা বলছে, "এ ধরণের লেবেলিং একজন ব্যক্তির শক্তি খরচের প্রেক্ষিতে তার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে চিত্রিত করে এবং এর মাধ্যমেই আমরা যে রেকর্ড পরিমাণ স্থূলতার মুখে পড়েছি তা আংশিকভাবে হলেও ব্যাখ্যা করা যায়।" "ছোট পদক্ষেপও ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।" অধ্যাপক ডালি আশা করেন যে, খাবারের কোন একটি বড় কোম্পানি বা ফুড চেইন হয়তো তাদের পণ্যে নতুন এই লেবেল নিয়ে আসতে রাজি হবে যাতে করে এই ব্যবস্থাকে "বাস্তব ক্ষেত্রে" পরীক্ষা করা যায়। তবে খাবারকে এ ধরণের লেবেলিং করা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে। ইটিং ডিসঅর্ডার চ্যারিটি বিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী টম কুইন বলেন, "যদিও আমরা স্থূলতা কমিয়ে আনার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি, তবুও যারা খাবার খাওয়া সংক্রান্ত জটিলতা বা ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন তাদের জন্য খাবারে এ ধরণের লেবেলিং ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।" "আমরা জানি যে, যাদের ইটিং ডিসঅর্ডার রয়েছে তারা এমনিতেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করা নিয়ে সমস্যায় থাকেন, তাই তাদেরকে যদি বলা হয় যে নির্দিষ্ট ধরণের খাবার খেলে কি পরিমাণ ব্যায়াম করতে হবে তাহলে তা তাদের লক্ষণকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।"
পিৎজা খাবার পর বাড়তি ক্যালোরি কমাতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
একটি ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা চলছে এ কথায় সবাই যে বিস্মিত হয়েছেন তা নয়। কারণ গত তিন দশক ধরেই এ দুটি দেশ টিকা তৈরির একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যৌথ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতে এখন ৬টি প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের টিকা তৈরির জন্য কাজ করছে। এর একটি হলো সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই কোম্পানিটি ৫৩ বছরের পুরনো, তারা প্রতি বছর দেড়শ কোটি টিকা বানায়। ভারতের পুনেতে তাদের প্রধান কারখানা, তবে ছোট আরো দুটো প্ল্যান্ট রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং চেক প্রজাতন্ত্রে। আমেরিকান কোডাজেনিক্স নামের একটি বায়োটেক কোম্পানির সাথে একসাথে কাজ করার জন্য চুক্তি করেছে এই সিরাম ইন্সটিটিউট। উদ্দেশ্য হলো কোভিড -১৯এর একটি টিকা তৈরি করা। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায় যে পৃথিবীর নানা প্রান্তে এখন ৮০টি করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাজ চলছে। করোনাভাইরাস কী ধরণের টিকা? বলা হচ্ছে, মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে যে অণুজীব বা প্যাথোজেন – তার ক্ষতিসাধনের ক্ষমতা কমিয়ে দেবার কৌশল প্রয়োগ করে তৈরি হচ্ছে এই টিকা। এখানে ভাইরাস থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো তুলে ফেলে দেয়া হয়, কিন্তু এটাকে মেরে ফেলা হয় না। মানব দেহে এটা প্রয়োগ করা হলে খুব সামান্য উপসর্গ দেখা দেয় বা একেবারেই কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। কারণ ল্যাবরেটরির ওই পরিবর্তিত অবস্থায় প্যাথোজেনটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের আদার পুনাওয়ালা ফোনে বিবিসিকে বলেছেন, তারা এখন প্রাণীর দেহের ওপর এ টিকা পরীক্ষার পরিকল্পনা করছেন। ‍“আমরা ইঁদুর ও বানরের ওপর পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছি এপ্রিল মাসেই। আর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা মানুষের ওপর পরীক্ষা শুরু করতে পারবো বলে আশা রাখি,'' তিনি বলেন। হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে অক্সফোর্ডের গবেষণা এই সিরাম ইন্সটিটিউট ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯এর টিকা তৈরির যে গবেষণা হচ্ছে তার সাথেও যুক্ত হয়েছে, যার মানবদেহের ওপর পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গত বৃহস্পতিবার। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তারা ১০ লাখ টিকা তৈরি করবেন, এবং এ ক্ষেত্রে অংশীদার হবে সিরাম ইন্সটিটিউট। অক্সফোর্ডের জেনার ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ্যাড্রিয়ান হিল বলছেন, এ বছরের শেষ নাগাদই হয়তো এই করোনাভাইরাস মহামারির লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সারা দুনিয়ার কোটি কোটি টিকা দরকার হবে। ভারতীয় কোম্পানির বড় ভূমিকা এটা স্পষ্ট যে এ টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের একটা বড় ভূমিকা থাকবে। মি. পুনাওয়ালার প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা আছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ কোটি টিকা উৎপাদনের। তা ছাড়া ভারত বায়োটেক নামে আরেকটি হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক কোম্পানি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মার্কিন ফার্ম ফ্লজেন-এর সাথে ৩০ কোটি টিকা তৈরির অংশীদার হবে তারা। তা ছাড়া ভারত হচ্ছে জেনেরিক ওষুধ এবং টিকা তৈরির ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী। পোলিও, মেনিনজাইটিস, নিউমোনিয়া, রোটাভাইরাস, বিসিজি, হাম, মাম্পস, রুবেলা - এরকম অনেক ছোটবড় রোগের টিকার বড় অংশ তৈরি হয় ভারতে। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, খুব শিগগীর বাজারে করোনাভাইরাসের টিকা চলে আসবে এটা আশা করা ঠিক হবে না। তারা বলছেন, টিকা তৈরির কাজ যে সফল হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই, এবং মানুষকে হয়তো করোনাভাইরাসের হুমকির মধ্যেই অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে।
করোনাভাইরাস: টিকা উৎপাদনে বড় ভূমিকা নেবে ভারতীয় কোম্পানিগুলো?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
এখন পর্যন্ত অন্তত নিহতের সংখ্যা ৮০ জন ছাড়িয়ে গেছে। গত ৪ঠা মে থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি-না, তার নিশ্চয়তা কিভাবে দেয়া হচ্ছে? সেজন্য কী ধরনের সতর্কতা নেয়া হয়েছে? অভিযান নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলছিলেন "এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মাদক সেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৫শ ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে সাজা দেয়া হয়েছে"। অভিযান নিয়ে নানা বিতর্ক মাদক বিরোধী অভিযানকে অনেকেই সাধুবাদ জানালেও কথিত বন্দুক-যুদ্ধ নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ে র‍্যাবের কর্মকর্তা মি: খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন "আসলে মানবাধিকার কর্মীরা যে বক্তব্য দিয়েছে ,সেটা যুক্তি দিয়ে খন্ডনের কোন ইচ্ছাই আমার নেই। আমরা যেহেতু গ্রাউন্ডে কাজ করি, ওনারা (মানবাধিকার কর্মীরা) কোন জায়গা থেকে কোন সোর্স নিয়ে কথা বলে সেটা আসলে ওনারাই ভালো বলতে পারবে। ইয়াবা ট্যাবলেট তিনি আরো বলেন "আর যারা এ পর্যন্ত আটককৃত হয়েছে, যারা সশস্ত্র অবস্থায় নিহত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তো অসংখ্য অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে"। নিরীহ মানুষ শিকার হচ্ছে কি-না র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুফতি মাহমুদ খান বলেন "আপনারা নিশ্চয় জানেন আমরা পরিষ্কার বলেছি আমরা এখনো সব জায়গায় সেভাবেই আছি ।এই মাদক ব্যবসার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার ও বিক্রির চক্রগুলোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের অধিনায়কগন যারা আছে তাদের কড়া নির্দেশ দেয়া আছে, যাতে করে নিরপরাধ কেউ যেন কখনো ভিকটিমাইজ না হয়।এবং আমরা সব সময় সেটা নিশ্চিত করি"। নিহতের ঘটনার তদন্ত হবে? তিনি বলেন, "যখন গোলাগুলি হয় তখন প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হয়। এই অভিযান কোন সুনির্দিষ্ট সময় লক্ষ্য করে করা হয় নি।" "এটা একটা বিশেষ অভিযান। অবশ্যই পরিস্থিতির বিবেচনায় এর ধরণ প্রকৃতির পরিবর্তন আসবে। পরিস্থিতি আসলে বলে দেবে এই অভিযান কত দিন চলবে। অভিযান যেটা শুরু হয়েছে সেটা চলমান থাকবে।" আরো পড়ুন: সালাহ কি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন? শেখ হাসিনার না-বলা কথা ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশে কঙ্কাল নিয়ে কীভাবে চলছে বাণিজ্য
বাংলাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে র‍্যাব কী বলছে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ আগামী মাসের শুরুতে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি এই সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬শ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে রবিবার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনেওয়ালার বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তারা এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি করতে পারছে না। ভারতীয় একটি বানিজ্য বিষয়ক টিভি চ্যানেল সিএনবিসি টিভি এইটিন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মি. পুনাওয়ালা বলেন, এখনো এ বিষয়ে তারা কোন লিখিত নির্দেশনা না পেলেও কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, "আমাদের যে লাইসেন্স রয়েছে সেটি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে আমরা রপ্তানি করতে পারবো না এবং খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবো না।" সাক্ষাৎকারে মি. পুনাওয়ালা এও বলেন যে, তাদের কাছে ভারত সরকারসহ সবাইকে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই খবরটি তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যম মারফৎ পেয়েছেন। "সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি", বিবিসিকে বলেন মি. মোমেন। তবে মি. মোমেন আশা প্রকাশ করেন, "ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তাহলেও তাদের সাথে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করি"। আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা গত দোসরা জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেয় ভারতের সরকার। ভ্যাকসিন রপ্তানি নিয়ে এরইমধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মরক্কোর সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ৩রা জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ছয়'শ কোটি টাকার বেশি জমা দেয়ার কথা এরইমধ্যে জানিয়েছে দেশটি। বিনিময়ে সেরাম ইন্সটিটিউট একটা ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। এর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছিল যে, চুক্তির ধারা অনুযায়ী তারা যদি আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে না পারে তাহলে বাংলাদেশে অগ্রিম এই টাকা ফেরত নেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ টিকা আনার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউট ছয়মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা দেবে বাংলাদেশকে। প্রতিমাসে ৫০ লাখ টিকা আসবে। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সেরাম ইন্সটিটিউট এক বিলিয়ন ডোজ তৈরি করার কথা রয়েছে।
করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এখন টিকা রপ্তানি করতে পারবে না - এই খবরে বাংলাদেশে উদ্বেগ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
যুক্তরাষ্ট্রে ইদানীং অনেক শিশুরা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন স্কুলে আসে। বাকিদিনগুলো বাড়িতেই পড়ালেখা করে। দেশটির সরকারি স্কুলগুলো সামাজিক ন্যায় বিচারের বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পরায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনছেন। এসব বেশি ঘটতে দেখা যাচ্ছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। যদি সেখানকার নাগরিকদের খুব বেশি সময় নেই সরকারের নীতি নিয়ে মাথা ঘামাবার। তবু সরকার বা রাজনীতির চেয়েও সেখানে যেটি প্রাধান্য পায় তা হল- ধর্ম। আরও পড়তে পারেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শ'খানেক শিক্ষার্থী যে কারণে আটক পাঠ্যবইয়ে ট্রাফিক নিয়মের পাঠ কতটা আছে? যে পীররা প্রভাবিত করেন পাকিস্তানের নির্বাচন টেক্সাসের অনেক বাবা-মা'য়েরাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন এই ভেবে যে, সেখানকার সরকারি স্কুলগুলো ধর্মের শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনের বাসিন্দা শ্যানন হেলমি বলছেন, "এখানকার সরকারি স্কুল বোর্ডের অধীনে ধর্ম যেন একটা নিষিদ্ধ বিষয় হয়ে গেছে।" মিজ. শ্যানন তার চারটি মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন। বাসাতেই তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন রেজাইনা সিলিয়া'র অধীনে, যারা এমন গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করে থাকেন যিনি ক্যাথলিক পাঠ্যক্রম অনুসারে তাদের পড়াবেন। টেক্সাসের মা-বাবা এবং অনেক শিক্ষকদের আরও অভিযোগ রয়েছে যে, সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু আগ্রাসী উদারপন্থী বিষয়ের সূচনা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন মার্কিন অভিভাবকদের অভিযোগ এখনকার স্কুলগুলো খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি ভক্তি হারিয়েছে। ফলাফল দাঁড়িয়েছে যে, রাজ্যটির বাসিন্দারা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে একধরনের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি ঝুঁকছে, অনেকটা খৃষ্টান ধর্মতত্ববিদ বা গ্রিক দার্শনিকদের মতো। "সেইসব বাবা-মা'য়েরা যারা কিনা ধর্মের বিষয়ে স্পর্শকাতর কিংবা রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব হোম স্কুলিং-এর দিকে ঝুঁকছেন। তারা ভাবছেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলগুলিতে।" বলছিলেন রেজাইনা সিলিয়া-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেরি বেকম্যান। তার মতে, "রক্ষণশীল বাবা-মা'য়েরা মনে করছেন যে তাদের মূল্যবোধগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে না প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়।" রেজাইনা সিলিয়া'র পুরো দেশজুড়েই তাদের ব্যবস্থাপনা চলা স্কুল রয়েছে, যেখানে সপ্তাহে মাত্র দু'দিন শিক্ষার্থীরা যায়। আর বাকি দিনগুলো বাড়িতেই শিক্ষা চলে তাদের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী। সরকারি স্কুল বোর্ডগুলোর নির্বাচন অনেকটা জাতীয় রাজনৈতিক নির্বাচনেরই বহি:প্রকাশ হয়ে গেছে, এমনটা মত অস্টিনের এক বাসিন্দা জন ডামের। তার তিনটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি নিজেও সেখানকার স্কুল থেকেই স্নাতক ডিগ্রী নিয়েছেন। তার মতে শিক্ষার মূল বিষয় থেকে লক্ষ্য সরে গিয়ে সেটি অনেকবেশী রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচ্যুসেটস অঙ্গরাজ্যের শিশুরা একটি কমিউনিটি প্লেইসে পাঠ নিচ্ছে। এই মতের বিরুদ্ধে যারা তারা বলছেন যে, রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ীই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে এবং ধর্মের বিষয়ে এখানে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। অস্টিনের সরকারি স্কুলে ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, দিনে দিনে সেখানে অবস্থা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ধর্মের নামে কোন শিক্ষা দেয়া দূরহ হয়ে পরছে। তার মতে এমনটা ঘটেছে অন্তত গত ১০ বছর ধরে। বাবা মায়েদের এমন উদ্বেগের ফল দাঁড়িয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে চার্টার স্কুলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেসব স্কুল সরকারের কাছ থেকে সহায়তা নেয় তবে পরিচালনা করে নিজেদের মতো করে। ২০১৫ সালে এমন স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়ায় ২.৮ মিলিয়নে, দেশটির জাতীয় শিক্ষা পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এ তথ্য। আর সেই সাথে বাসায় থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী ছেলেমেয়েদের সংখ্যা ২০১২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩% থেকে ৮%। যা কিনা বর্তমানে ৩.৫ মিলিয়ন। রেজাইনা সিলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা মেটাতে এখনো সম্ভব নয়। তারা একই ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর যথেষ্ট সামাজিক উপকারিতা রয়েছে বলে মনে করেন এর সমর্থকরা। তবে আমেরিকার শিশুদের অধিকাংশই স্কুলেই শিক্ষা নিয়ে থাকে, যেসব স্কুলকে পাবলিক স্কুল বলা হয়। মার্কিন জাতীয় পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের শরতে ৫০.৭ মিলিয়ন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। ছেলেমেয়েদের বাড়িতে যেভাবে শিক্ষা দেয়া হয়, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। সমালোচকরা বলছেন যে, এভাবে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তার গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এছাড়া শিশুরা সেখানে বেড়ে উঠছে তাদের সমবয়সীদের ছাড়াই। উভলিঙ্গ মানুষদের মূল সমাজের অন্তর্ভুক্তির বিষয় পাঠ্যক্রমে থাকার বিষয়টিও অনেক রক্ষণশীলদের অপছন্দনীয়। এমন বিষয় নিয়ে পড়ানোর বিষয়ে আপত্তি তুলে টেক্সাসে একজন ক্যাথলিক শিক্ষকের সরকারি স্কুল থেকে চাকরি ছেড়ে দেবার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যেসব শিশু বাড়িতে পড়ালেখা করছে তাদের স্কুল থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রক্ষণশীল বাবা-মায়েদের একটি বড় অংশ উভলিঙ্গদের বিষয়ে শিক্ষা ছাড়াও আপত্তি তুলেছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষায় সমকামী বিবাহ, লিঙ্গ ভূমিকা বা পরিবারের একাত্মতার বিষয়গুলি থাকা নিয়েও। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, তাই এক্ষেত্রে সবার কথা ভেবে পাঠক্রম তৈরি করা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন মিজ বেকম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনছেন অভিভাবকরা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
কে এম শাজি কে এম শাজি নামে যুব মুসলিম লীগের প্রধান ওই নেতা কেরালায় ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় ধর্মীয় ঘৃণা ছড়িয়েছিলেন - এ অভিযোগ এনে তাঁর বিরোধী প্রার্থী মামলা দায়ের করেছিলেন। মি. শাজি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। মি. শাজির নির্বাচন বাতিল করে তাঁকে ছ'বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতেও দেওয়া হবে না বলে শুক্রবার জানিয়েছে আদালত। সে আসনে নতুন করে ভোট করার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মি. শাজি রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার কথা বলেছেন। তাঁর বিরোধী প্রার্থী মামলায় অভিযোগ করেছিলেন: মি. শাজির কর্মীরা প্রচার চালিয়েছে যে 'তিনি মুসলমান বলেই তাঁকে ভোট দেওয়া উচিত।' কিছু প্রচারপত্রও বিলি করা হয়েছিল, যেখানে 'ইসলামে অবিশ্বাসীদের ভোট না দিতে' আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে কে এম শাজি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন নি আমি। তাই যদি করতাম, তাহলে মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়তাম না আমি। ওই হুমকির কারণে সরকার আমাকে পুলিশী নিরাপত্তা দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করলে নিশ্চই মৌলবাদীরা আমার ওপরে চটে যেত না!" মি. শাজির কথায়, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এটা একটা বড় ধাক্কা, তবে তিনি উচ্চতর বেঞ্চে এবং শেষমেশ সুপ্রীম কোর্টে যাবেন এই রায়ের বিরুদ্ধে। ভারতের আইনে ভোটে ধর্মকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন বাতিল করার ব্যবস্থা যেমন রয়েছে, তেমনই দোষী ব্যক্তিকে ছয় বছর কোনও ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা না করতে দেওয়ারও বিধান রয়েছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: সংসদ নির্বাচন: সব টেনশন 'বিএনপির আসা-না আসা' নিয়ে 'গ্রেফতার না করার' প্রতিশ্রুতি কি রাখছে সরকার? তালেবানকে কীভাবে শান্তি আলোচনায় বসালো রাশিয়া তবে ভারতের নির্বাচনী রাজনীতির ওপরে দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখে যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি, সেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফমর্স বা এ ডি আর বলছে - ধর্মকে ব্যবহার করা এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর বহু ঘটনা ঘটলেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সচরাচর নেওয়া হয় না। নির্বাচনের সময়ে যে হলফনামা প্রার্থীরা জমা দেন, সেগুলি বিশ্লেষণ করে এডিআর বলছে, ১৫ জন সংসদ সদস্য এবং ৪৩ জন বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভাগুলির সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। ১৫ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১০জনই বিজেপির এবং বাকিদের মধ্যে যেমন রয়েছেন আসামের মুসলিম প্রধান দল এ আই ইউ ডি এফ বা দক্ষিণের এম আই এম, তেমনই আছেন হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার সংসদ সদস্যও। এ ডি আরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জগদীপ ছোকান বিবিসিকে বলেন, "দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই বাস্তব যে ঘৃণামূলক ভাষণ দেওয়াটা একটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ আর মনেই করে না যে এটা ভুল, বেআইনী। হয়তো পত্রপত্রিকায় ছাপা হয় ওই ঘৃণামূলক ভাষণের কথা, কিন্তু কেউ আর সেটার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আগ্রহ দেখায় না।" এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবার দায়িত্বটা মূলত নির্বাচন কমিশনের ওপরে, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে অধ্যাপক জগদীপ ছোকার বলছিলেন, "তাদের মূল লক্ষ্যটা থাকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা পার করিয়ে দেওয়ার। তাই কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক করা ছাড়া বিশেষ কিছু করা হয় না।" তিনি বলেন, কমিশনের লোকবলও তেমন নয় যাতে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই আইনী প্রক্রিয়াগুলো চালাতে পারে।" ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলীম লীগের কাজকর্ম মূলত দক্ষিণ ভারতের কেরালা পাশ্ববর্তী তামিলনাডু রাজ্যের কিছু অঞ্চলে বিস্তৃত। দলটি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের অংশীদার।
ভারতে নির্বাচনী প্রচারে ‘ধর্মীয় ঘৃণা’ ছড়ানোর দায়ে মুসলিম লীগ নেতার নির্বাচন বাতিল
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ছাত্র ছাত্রীদের নকল করার উপায়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রেপ্তার হন এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেইসব 'উপায়' জানাতে গিয়েই তিনি বলেন যে পরীক্ষার খাতায় একটা একশো রুপির নোট গুঁজে দিলেই পরীক্ষক চোখ বন্ধ করে নম্বর দিয়ে দেবেন। পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে মৌ জেলার হরিভনশ মেমোরিয়াল স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের এই 'উপায়'গুলি জানিয়েছিলেন এবং কেউ তার এই 'ভাষণ' মোবাইলে রেকর্ড করে নেয়। যথারীতি এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং অভিযোগ পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দপ্তরে। "অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরীক্ষায় অসৎ উপায় আটকানোর যে বিশেষ নির্দেশিকা আছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের, সেটা অনুযায়ীই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে", বিবিসিকে জানান মৌ জেলার পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট অনুরাগ আরিয়া। "এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। তিনি এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে জেলে আছেন।" ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে শোনা যায়, ওই শিক্ষক যে শুধু নোট গুঁজে দেওয়ার কথা বলেছেন, তা নয় ছোট চিরকুট বার করে উত্তর লিখতে গেলে যদি কেউ ধরা পড়ে যায়, তাহলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে পরিদর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতেও বলেন এই প্রধান শিক্ষক। আর পরিদর্শকদের সঙ্গে কোনোভাবেই যেন জোর জবরদস্তি না করে কেউ, সেটাও বলে দিয়েছিলেন। সেরকম করলে স্কুলের বাকি ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় ফেলে দেবে পরিদর্শক। স্কুলের নাম যাতে 'উজ্জ্বল' হয় প্রতিবারের মতোই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি প্রভীন মূল। দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বিগত বছরগুলিতে ব্যাপক নকলের ছবি আর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই এবার আগে থেকেই কড়া মনোভাব নিয়েছে রাজ্য সরকার। একটি মনিটরিং কমিটিও গড়া হয়েছে। "একই সঙ্গে ভোটের মতো জেলাকে নানা সেক্টারে ভাগ করে চলমান নজরদারি গড়া হয়েছে। আকস্মিক পরিদর্শনও হচ্ছে। আর যেসব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি সংবেদনশীল, যেখানে অন্যান্যবার ব্যাপক নকল হয়েছে, সেখানে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছে," জানান পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট অনুরাগ আরিয়া। আরো পড়তে পারেন: গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে সমন্বিত ভর্তিতে থাকছে না বুয়েট, আলাদা পরীক্ষা বিসিবি সভাপতির ক্ষোভ কতটা যৌক্তিক?
ভারতের উত্তরপ্রদেশে পরীক্ষায় নকল করার উপায় বলে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আর এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ২,৩৯১ জনের মৃত্যু হল। আর বাংলাদেশে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হলেন এক লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন। দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্যা জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদে মধ্যে পুরুষ ৩০ জন আর নারী ৯ জন। আর এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯০ জন আর নারী ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখন প্রতি চারজনের পরীক্ষায় একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। নাসিমা সুলতানা জানান, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২,৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নয় লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪৭টি। তিনি বলেন, এই সময়ে ৪,৭০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৯৮,৩১৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার চার ভাগের এক ভাগই কোভিড-১৯ পজিটিভ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তবে কতদিনের মধ্যে সেই রায় কার্যকর করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায় নি আদালত। বাংলাদেশে অপহৃত হওয়ার বেশ ক'মাস পর হঠাৎ করেই ২০১৫ সালের ১১ই মে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের গল্ফ লিঙ্ক এলাকায় ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মি. আহমেদকে দেখতে পাওয়া যায়। শুক্রবার রায়ের পরে মি. সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলং থেকে টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "আমি মনে করছি যে ন্যায়বিচার পেয়েছি আদালতের কাছ থেকে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমার চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন।" "এখন যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হলেই আমার পক্ষে ভাল। আমি দ্রুত দেশের মানুষের কাছে ফিরতে চাই।" শিলংয়ের যে এলাকায় তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল, সেখানে প্রাত:ভ্রমণকারী ক'জনকে জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন যে তিনি শিলংয়ে। পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন ওই প্রাত:ভ্রমণকারীরাই। শিলংয়ের হাসপাতালে যেখানে গ্রেফাতরের পর সালাহ উদ্দিন আহমেদের চিকিৎসা হয়। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে 'ইয়াবা যুগ': মাদকের বাজার কতটা বড়? আওয়ামী লীগ নতুন বিরোধী জোটকে কি বিবেচনায় নিচ্ছে? যে কারণে এই আইরিশ গায়িকা মুসলমান হলেন কিন্তু যখন তিনি পুলিশের কাছে দাবী করেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী, এবং তাকে কয়েকজন চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ অফিসারেরা এই কথা শুনে ভেবেছিলেন তিনি মানসিক রোগী। তাই প্রথমে তাকে একটা সরকারি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারও করা হয় সেদিনই - ভারতে প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র না থাকায়। তারপর বেশ কিছুদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন শিলংয়ের সরকারি হাসপাতাল। কয়েকমাস পরে তিনি জামিন পান, কিন্তু তাকে শিলং ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। জামিন পাওয়ার পর থেকেই শিলংয়েই থাকছেন মি. আহমেদ। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে দিল্লিতেও গিয়েছেন মি. আহমেদ। মি. আহমেদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, দেশে ফিরে কী আবার রাজনীতিতেই যোগ দেবেন? "আমরা রাজনীতির মানুষ, তাই রাজনীতিতেই সব সময়েই আছি - সে আমি পৃথিবীর যে দেশেই থাকি না কেন। বর্তমানে দেশে যে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন চলছে, তার সাথেই সবসময়ে আছি," বলছিলেন মি. আহমেদ। গ্রেফতার হওয়ার পর শিলং পুলিশের তোলা ছবি। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও পরিকল্পনা রয়েছে তার, কিন্তু সেটা নির্ভর করবে কত দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তার ওপরে। পুলিশ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরে তারা সবথেকে কাছের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করবে মি. আহমেদের ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য। তারপরে পুলিশ ডাউকি সীমান্তে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে। তারা মি. আহমেদকে তুলে দেবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের হাতে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক আর. পি. আগরওয়াল বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা এখনও আদালতের নির্দেশ হাতে পান নি। সেটা দেখার পরেই তাঁরা বুঝতে পারবেন যে আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে সালাহ উদ্দিন আহমেদের ব্যাপারে। যদিও আজ ভারতে অনুপ্রবেশের দায় থেকে মুক্ত হলেন মি. আহমেদ, তবে এটা এখনও অস্পষ্টই থেকে গেল যে বাংলাদেশে অপহৃত হওয়ার পরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নজর এড়িয়ে কারা তাকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মেঘালয়ের রাজধানীতে নিয়ে এসে ফেলে রেখে গিয়েছিল।
মুক্তির পর দ্রুত দেশে ফিরতে চান সালাহ উদ্দিন আহমেদ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মার্কিন যোদ্ধা বীর কাসিমির পোলাস্কি ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ১৭৭৭ সালে যুদ্ধে লড়াই করেন যারা 'ইন্টারসেক্স' - তারা নারী ও পুরুষ উভয় ধরণের যৌন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। গবেষকরা এখন বলছেন কাসিমির পোলাস্কি যিনি জর্জ ওয়াশিংটনের সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে ১৭৭৭ সালে লড়াই করেছেন তিনি ছিলেন হয় নারী, নাহলে উভলিঙ্গ। প্রায় ২০ বছর আগে বিজ্ঞানীরা প্রথম পোলাস্কির কঙ্কালের মধ্যে নারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খুঁজে পান কিন্তু নিশ্চিতভাবে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। কিন্তু ডিএনএ টেস্ট এখন নিশ্চিত করছে যে সেই নারী কঙ্কালটি ছিল পোলাস্কিরই। তাদের অনুসন্ধানের তথ্য স্মিথসোনিয়ান চ্যানেলে তথ্যচিত্র হিসেবে প্রচার হওয়ার কথা ৮ই এপ্রিল, যার শিরোনাম 'আমেরিকার লুকানো গল্প: জেনারেল কি একজন মহিলা ছিলেন?' কাসিমির পোলাস্কি কে ছিলেন? ১৭৪৫ সালে ওয়ারসতে জন্ম হয় পোলাস্কির এবং খুব অল্পবয়স থেকেই তার রাজনীতিতে আগ্রহ তৈরি হতে থাকে। তিনি যখন কিশোর বয়সী তখনই পোলিশ স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের জেরে রাশিয়া থেকে বহিষ্কৃত হয়ে প্যারিসে পালিয়ে চলে যান তিনি। সেখানেই তিনি সাক্ষাত করেন আমেরিকান বিপ্লবী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের সাথে যিনি ব্রিটেনের বিরুদ্ধে কলোনিগুলোর লড়াইয়ে আমেরিকান বিপ্লবে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে, ১৭৭৭ সালের ব্রান্ডিওয়াইন যুদ্ধক্ষেত্রে জর্জ ওয়াশিংটনের জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি, এবং একটি পালানোর রাস্তা খুঁজে বের করেছিলেন যেখান দিয়ে জর্জ ওয়াশিংটন এবং তার সৈন্যরা সরে যেতে পেরেছিলেন। সাবানাহ অবরোধের সময় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার অল্প সময় পরে ১৭৭৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান । পোলাস্কির দেহের হাড়গুলো জর্জিয়ার সাবানাহতে একটি স্মৃতিস্তম্ভের নিচে ধাতব কন্টেইনারে রক্ষিত ছিল। প্রায় দুই দশক আগে স্মৃতিস্তম্ভটি যখন সাময়িকভাবে সরানো হয়েছিল তখন গবেষকরা তার কঙ্কালটি বের করতে এবং গবেষণা করতে সক্ষম হন। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক নৃ-বিজ্ঞানী চার্লস মার্বস এএসইউ নাউ-কে বলেছেন, তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক বিজ্ঞানী ডক্টর কারেন বার্নসকে সাথে নিয়ে হাড়গুলো পরীক্ষা করেছেন । তিনি বলেন, "আমি ভেতরে ঢোকার আগে ডক্টর বার্নস আমাকে বলেছিলেন, 'ভেতরে যাও এবং চিৎকার করতে করতে বেরিয়ো না যেন" । তিনি আরও বলেন, সতর্কতার সাথে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং এরপর বসে আলোচনা করতে হবে। "এরপর আমি ভেতরে যাই এবং সাথে সাথে বুঝতে পারি যে তিনি (ডক্টর বার্নস) কোন বিষয়টি নিয়ে বলছিলেন। নারীর দেহের কঙ্কাল যেমন হতে পারে এটা তেমনিই ছিল" বলেন মিস্টার । আরও পড়ুন: ‌আমি ছিলাম 'না-পুরুষ না-নারী': মডেলের স্বীকারোক্তি পোলাসকির কঙ্কাল- নিশ্চয়তা কী? এই ঘটনার পর তারা প্রমাণ করেছিল যে হাড়গুলো পোলাস্কিরই ছিল এবং অন্য কারো দেহাবশেষের সাথে তা অদল-বদল হয়নি। তারা প্রথমে কঙ্কালটির শারীরিক আঘাতগুলো পরীক্ষা করেন, যেগুলো ঘোড়ায় চড়া কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের কারণে হয়ে থাকতে পারে। এরপরের পদক্ষেপ ছিল কঙ্কালের ডিএনএ টেস্ট করা। ডিএনএ টেস্টের জন্য ডক্টর মার্বস এবং ডক্টর বার্নস তারঁ ভাতিজির সাথে তা মেলে কিনা তা পরীক্ষা করেন। কিন্তু সেই সময় পরীক্ষার পদ্ধতি ততটা উন্নত ছিলনা এবং তারা কোন ফলাফল পাচ্ছিলেন না। স্মৃতিস্তম্ভের কাছেই হাড়গোড় পুনরায় সমাধিস্থ করা হল। এবং তাদের পাওয়া তথ্য "মতামত" হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। বিষয়টি বিস্মৃতই ছিল, যতক্ষণ এতদিন পর্যন্ত না আরও তিনজন গবেষক তথ্য-প্রমাণগুলোর দিকে ফিরে তাকানোর এবং যুগোপযোগী প্রযুক্তির সাহায্যে আরও ভালো কোনও ফলাফল মেলে কিনা তা জানার জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং তারা যখন হাড়গুলো পরীক্ষা করলেন, ফলাফল এলো ইতিবাচক-কঙ্কালের ডিএনএ ছিল পোলাস্কির সেই আত্মীয়ের সাথে "অভিন্ন"। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যার ১ দশমিক ৭ শতাংশ জন্মগত-ভাবে ইন্টারসেক্স । গবেষক ডক্টর মার্বস বলেন, এটা অসম্ভব যে পোলাস্কি যিনি পুরুষ হিসেবে বেড়ে উঠেছেন, তিনি কখনো বিশ্বাস করেছেন যে তিনি নারী কিংবা উভলিঙ্গ। বিষয়টি তার কাছে ছিল "কিছু একটা সমস্যা" হিসেবে। "সেইসব দিনে তারা আসলে কিছুই জানতো না"।
মার্কিন বীর যোদ্ধা কাসিমির পোলাস্কি হয়তো নারী ছিলেন কিংবা উভলিঙ্গ- গবেষণার তথ্য
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ফাহিম সালেহ এই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ফাহিম সালেহ'র মালিকানাধীন ছিল। নিউ ইয়র্কের পুলিশ বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে মি. সালেহ'র খণ্ড-বিখন্ড মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার মরদেহের পাশে একটি যান্ত্রিক করাত পাওয়া যায়। নিউইয়র্কের পুলিশ ধারণা করছে, পেশাদার খুনিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ফাহিম সালেহ'র শরীরের বিভিন্ন অংশ অ্যাপার্টমেন্টে ছড়ানো ছিটানো ছিল এবং কিছু অংশ একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ব্রিটেনের ডেইলি মেইল অনলাইনের খবরে ফাহিম সালেহকে একজন মিলিয়নিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মি. সালেহ'র বোনকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা লিখেছে, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারে ফাহিম সালেহ'র বোন। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, মঙ্গলবার সারাদিন ফাহিম সালেহ'র সাথে কোন যোগাযোগ না হওয়ায় বিকেল ৩:৩০ মিনিটে সপ্তম তলায় তার সাথে কথা বলতে যান। সেখানে গিয়ে তার বোন ফাহিম সালেহ'র খণ্ড-বিখন্ড মরদেহ দেখতে পান। পুলিশকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা গেছে কালো স্যুট এবং কালো মাস্ক পরা একজন ব্যক্তির সাথে একই লিফটে প্রবেশ করেন ফাহিম সালেহ। লিফট ফাহিম সালেহ'র অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়ালে দুজনেই সেখান থেকে বের হয়ে যান। এরপর ফাহিম সালেহ তার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। তখন সেই ব্যক্তি ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে। পুলিশ বলছে, এরপর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এই ভবনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছিলেন ফাহিম সালেহ। ফাহিম সালেহর পরিচয় নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ফাহিম সালেহ'র জন্ম সৌদি আরবে। এরপর পরিবারের সাথে তিনি নিউ ইয়র্কে চলে যান। মি. সালেহ পড়াশুনা করেছেন নিউ ইয়র্কে। ঢাকায় পাঠাও রাইড শেয়ারিং-এর একজন কর্মকর্তা ওসমান সালেহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছেন। "আমরা এই ঘটনায় শকড। বিষয়টা কিভাবে ঘটেছে সে সম্পর্কে আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানিনা," বলছিলেন ওসমান সালেহ। তিনি জানান, বাংলাদেশে অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাও প্রতিষ্ঠার পরে থেকে ফাহিম সালেহ চেয়েছিলেন আফ্রিকা মহাদেশে ব্যবসা বিস্তার করতে। এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নাইজেরিয়াতে 'গোকাডা' নামে একটি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করেন। তার সাথে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আরো একজন ছিলেন। ফাহিম সালেহ'র মালিকানাধীন 'গোকাডা' সার্ভিস ডেলিভারিতে এক হাজার মোটর সাইকেল রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই সংকটে পড়েb তারা। কারণ নাইজেরিয়ার সরকার মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং নিষিদ্ধ করে। 'টেককাবাল' নামে নাইজেরিয়ার একটি প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে, সংকটে পরার আগে এক বছরেই 'গোকাডা' ৫৩ লাখ ডলার আয় করে। যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ হয়ে গেলে 'গোকাডা' পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিস চালু করে। বর্তমানে নাইজেরিয়ার রাজধানী লেগোসে তাদের ১০০০ মোটরসাইকেল রয়েছে। ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। ২০১৪ সালে তিনি ঢাকায় এসে প্রযুক্তি-ভিত্তিক কিছু ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলো ব্যর্থ হয়। এরমধ্যে 'পাঠাও' উদ্যোগ সফল হয়েছিল। শুরুতে পণ্য পরিবহন সার্ভিস থাকলেও পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবাও চালু করে পাঠাও। পাঠাও প্রতিষ্ঠার সাথে ফাহিম সালেহ'র সাথে আরো দু'জন ছিলেন। পরবর্তীতে ফাহিম সালেহ তার কিছু শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে নিউইয়র্কে ফিরে আসেন। এরপর তিনি 'পাঠাও' এর আদলে অন্য দেশে ব্যবসার চিন্তা করেন।
নিউ ইয়র্কের ফ্ল্যাটে পাওয়া গেলো বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও-এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর খণ্ড-বিখণ্ড লাশ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গত মাসে অবৈধ বাংলাদেশী সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে ধৃতদের কয়েকজন বিজিবির কর্মকর্তার বলছেন, ভারতে এখন কথিত 'অবৈধ অভিবাসনের' বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তারপর থেকেই এ ধরণের লোকজন বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিজিবি এটিকে বাংলাদেশে 'অবৈধ অনুপ্রবেশ' হিসেবে দেখছে। এজেন্য এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন গ্রামে গ্রামে ইউপি সদস্যদের দিয়ে কমিটিও গঠন করছে। তবে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে একেবারে ভিন্ন ভাষ্য। পুলিশ আটকদের অনুপ্রবেশকারী বলতে রাজি নয়। পুলিশ বলছে, তদন্ত করে তারা দেখেছে আটক ব্যক্তিরা আসলে বাংলাদেশেরই মানুষ। এনআরসি নিয়ে আতংক ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটকদের মধ্যে প্রায় ৮০ জন নারী এবং ২০টি শিশু রয়েছে বলে বিজিবি'র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আটকদের বেশিরভাগই মুসলিম। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ১০জন বা ১৫জনের দলে ২/৩টি করে পরিবার বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করে। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের শহর মেডিনা কেন অর্থসংকটে কৈশোরে শরীরচর্চা : বিশ্ব সূচকের শীর্ষে বাংলাদেশ অপরাধী চক্রের ফাঁদে জিম্মি হচ্ছে সমকামীরা আবরার হত্যা: বুয়েট থেকে চিরতরে বহিষ্কার ২৬ ছাত্র আসামে এনআরসি করার পর বহু বাংলাভাষী নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। মহেশপুর থেকে বিজিবি'র সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল কামরুল আহসান বলছিলেন, ভারতের এনআরসির ভয়ে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে, আটকের সাথে কথা বলে তারা এই তথ্য পেয়েছেন। "হঠাৎ করে এমাসে প্রায় সোয়া দু'শর মতো আমাদের হাতে ধরা পড়েছে, যারা ভারত থেকে এসেছে। এরা মূলত ব্যাঙ্গালোর বা চেন্নাই এর মত জায়গা থেকে আসছে। কর্নাটকে এনআরসির কার্যক্রম শুরু হবে, এরকম একটা কথা সেখানে চালু হয়েছে। সেজন্য পুলিশ এবং বিজেপি সমর্থকরা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল যে, তোমরা এদেশ ছেড়ে যাও। সেকারণে তারা গোপনে চলে আসছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারিরা ভারতের নদীয়া জেলা দিয়ে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তের কাছে এসে থাকছে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। সীমান্তের দুই পাশেই দালালচক্র বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের সাহায্য করছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। মহেশপুর উপজেলার ইউএনও'র দায়িত্বে থাকা সুজন সরকার জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য বিজিবির অনুরোধে তাদের সহায়তা করতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ইউপি সদস্যদের নেতৃত্বে কমিটি করা হচ্ছে। সীমান্তের কাছের কাজী বেড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাসিমা খাতুন বলছিলেন, আটকদের মধ্যে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর কেউ নেই। "যাদের ভারত থেকে তাড়িয়ে দিছে, তারা গোপনে আসছে। কিন্তু আমাদের এবং আশপাশের গ্রামের কেউ এরমধ্যে নেই।" সীমান্তবর্তী আরেকটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সায়রা খাতুন বলেছেন, সীমান্তে আটকের পর আদালতে পাঠানোর আগে তার বাড়িতেও কয়েকজন নারী শিশুকে রাখা হয়েছিল। সেই নারীদের বরাত দিয়ে সায়রা খাতুন বলেছেন, "তাদের কেউ কেউ বলছে, তারা কাজের জন্য যায়। আবার কেউ বলেছে, তাদের ভাল কাজ দেয়ার লোভ দিয়া নিয়া যায়। তারপর দেহব্যবসা করে। এখন আর থাকতে না পেরে চলে আসছে।" আটকের পর তাদের কি করা হচ্ছে বিজিবি'র কর্মকর্তা লে: কর্ণেল কামরুল আহসান বলেছেন, আটকদের কাছে কোন দেশের পাসপোর্ট না থাকায় পার্সপোট আইনে এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ আদালতে হাজির করলে তাদের স্থানীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আটকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নাগরিক হিসেবে দাবি করলেও কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। সেজন্য বিজিবি তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখছে। ভারতের মুম্বাইর একটি বস্তি। বিজেপি দাবি করে লাখ লাখ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে থাকছে। আর এমন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ঝিনাইদহ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন। মহেশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাশেদুল আলম বলছিলেন, আটকরা বাংলাদেশের নাগরিক বলে তদন্তে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। সেকারণে এটাকে তারা অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখছেন না। "আটকদের বেশিরভাগের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ,শরণখোলা এলাকায়। এছাড়া কয়েকজন বাড়ি হচ্ছে পিরোজপুরের প্রত্যাশী ইউনিয়নে। ঐ এলাকাগুলো থেকে ব্যাঙ্গালুরু যায় কাজের জন্য। কিছু বেদেও এসে আটক হয়েছে। এরা সবাই ব্যাঙ্গালুরু থেকে এসেছে। তারা কোন এক সময় অবৈধভাবে ইন্ডিয়ায় গিয়েছিল।" তিনি আরও বলেছেন. "আমি এটাকে অনুপ্রবেশ বলবো না। যেহেতু তারা এদেশের নাগরিক। তারা নাম পরিচয় যা বলেছে, তদন্তে আমরা তার সত্যতা পেয়েছি।" এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা তদন্তে যে তথ্য পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে এখন অল্প সময়ের মধ্যে আটকদের বিরুদ্ধে পার্সপোর্ট না থাকার অভিযোগে চার্জশীট দেবেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী? নাকি আসলেই বাংলাদেশের লোক?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেকেই জটিলতার মুখে পড়েছেন। যদিও বিএনপির অভিযোগ, 'অনিয়মের এ নির্বাচনে' ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যের চেয়েও কম ছিল। অবশ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে, ঢাকা সিটি নির্বাচনে এতো কম ভোটারের উপস্থিতি আর কখনো দেখা যায়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা অবশ্য নির্বাচনে কম ভোটারের উপস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের দায়ী করছেন। অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন হচ্ছে উৎসবের মতো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোট দেবার ব্যাপারে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বেশিরভাগ মানুষ এদেশে ভোট দিতে যান। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্বাধীনতার পর প্রথম দুই দশকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে ছিল। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৩০ শতাংশের কম নব্বই পরবর্তী সময়ে সেই হার ৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ৮৭ শতাংশ পর্যন্তও উঠেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বর্জন করেছিল, এবং সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন- এই দুইটি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। বিরোধী দলগুলো গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ফল নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। আর এসব কারণে অনেক ভোটার এবার ভোট দিতে নিরুৎসাহিত হয়েছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। বিভিন্ন পক্ষের সাথে কথাবার্তা বলে ও ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে আমরা খুঁজে বের করেছিএবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি এত কম হওয়ার ৫টি কারণ: ১. অনীহা: নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ভোট পড়েছে ২৫.৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৩০ শতাংশের মতো। কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তরুণ ভোটারদের বড় একটি অংশ এবার ভোট দিতে যায়নি। শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী এমন নানা পেশার কয়েকজন যারা ভোট দেননি, তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, কী কারণে ভোট দেননি তারা? তাদের একটি বড় অংশ বলেছেন, ভোট দেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ অনেক কম ছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার জোট ফেমার প্রধান মুনিরা খান নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার জোট ফেমার প্রধান মুনিরা খান বলেছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ২৫ বছরের অভিজ্ঞতায় অংশগ্রহণমূলক কোন নির্বাচনে এতো কম ভোটারের উপস্থিতি তিনি কখনো দেখেননি। "আমি গত ২৫ বছর ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি, ঢাকা সিটি নির্বাচনে এত কম ভোটার আমি আগে কোনদিন দেখিনি।" "এর কয়েকটি কারণ রয়েছে: এক, তরুণদের মধ্যে ভোট দেবার ব্যাপারে বিরাট অনীহা। তারা মনে করে তাদের ভোটে 'কি আসে যায়'। ২. অনাস্থা: বিবিসিকে একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, "ভোট দিতে যেতে অত আগ্রহ পাইনি, কারণ আমরা জানি, আমি ভোট দিলেও যে নির্বাচিত হবে, না দিলেও সে-ই নির্বাচিত হবে।" কিভাবে জানেন জানতে চাইলে তার উত্তর ছিল: "আমরা চারপাশে তেমনই শুনে আসছি সব সময়।" আরেকজন বলছিলেন, "আমার নির্বাচনের প্রার্থী পছন্দ হয়নি, আর না-ভোটেরও ব্যবস্থা নাই, তাই আমি ভোট দেইনি।" এবারে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হওয়ার কারণে, অনেকের মধ্যে এটা নিয়েও অনাস্থা ছিল বলে মনে করেন মনিরা খান। তাছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উপর মানুষের অনাস্থা তৈরি হওয়ার কথাও বলছেন তিনি। "নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা অনেক কমে গেছে। এই আস্থা যদি বেশি থাকতো তাহলে আরো অনেক বেশি মানুষ ভোট দিতে যেত।" প্রধান নির্বাচন কমিশনার কম ভোটারের উপস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের দায়ী করেছেন। তবে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর ভোটাররা আস্থা হারিয়েছেন বলে ভোট দিতে যাননি, এমন অভিযোগ মানতে চাননি নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এটি একটি কারণ হতে পারে, তবে প্রধান কারণ নয়"। ৩. অনিয়মের আশঙ্কা একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেছেন, "আমি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি আমার সাথের জনের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তখন ওর সাথে আমিও চলে আসি।" পর্যবেক্ষক মুনিরা খান বলছিলেন, ঢাকার বাইরের স্থানীয় নির্বাচনেও ভোটারদের উপস্থিতি কমে এসেছে। এজন্য ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়া এবং সংঘর্ষের আশংকা ইত্যাদি অনিয়মকে তিনি দায়ী মনে করেন।। অবশ্য এবারের ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ব্যপকভিত্তিক অনিয়মের অভিযোগ খুব একটা ওঠেনি। ৪. পরিবহণ সঙ্কট: বিবিসির সঙ্গে আলাপে ঢাকার একজন ভোটার বলেন, "আমার বাসা মোহাম্মদপুর, কিন্তু আমি ভোটার যাত্রাবাড়ীর। রাস্তায় তো গাড়ি চলে নাই, আমি যে যাব, তারপর ফিরে আসব কিভাবে - তাই যাই নাই।" নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এই কারণের সঙ্গে একমত হচ্ছেন। তিনি বলছেন, "ভোটারদের আগ্রহ কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার প্রভাব তো আছেই। যেমন, আমরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেটা একটা কারণ। অনেকে হয়তো চিন্তা করেছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কি-আসে-যায়। এসব নানাবিধ কারণই কাজ করেছে এর পেছনে।" ৫. ছুটির ফাঁদ: এবার ভোট ছিল শনিবার। শুক্র ও শনিবারের আগে বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের স্বরস্বতি পুজো। এই দিনটিতে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ছুটি থাকে। এর পর শুক্রবার এবং ভোটের দিন শনিবার, সব মিলে তিন দিনের বিরতি তৈরি হওয়ায় ঢাকার অনেক মানুষই ছুটি কাটাতে শহরের বাইরে চলে গিয়েছিলেন বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, "নির্বাচনে মূলত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরা বেশি গেছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো এমন অনেকে ভোট দিতে যান নাই। অনেকে ছুটি পেয়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে চলে গেছেন।" ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বলেছে, নির্বাচনের তারিখ পেছানো এবং শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। 'ডেইজি আপার সালাম নিন': সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তোলা প্রার্থী ডেইজি সারোয়ারের সাক্ষাৎকার আরো খবর: ৯/১১ হামলার আগাম হুঁশিয়ারি কেউ কানে তোলেনি কেন? ইইউ ছাড়ার পর ব্রিটেনকে যে পাঁচ বিষয় সমাধান করতে হবে ঘরে লাগানো গাছ কি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর? চীনে কীভাবে মাত্র ১০ দিনে তৈরি হলো হাসপাতাল
ঢাকা সিটি নির্বাচন: যে পাঁচটি কারণে এত কম ভোট পড়েছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে বুধবার ভোরে চীন থেকে এসব টিকা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। চীনের উপহার হিসাবে পাঠানো সিনোফার্মের টিকা বুধবার সকালে বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড টিকার পাশাপাশি এই টিকার প্রয়োগ চলবে। গত সপ্তাহেই সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারা পাবেন সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে টিকা নিতে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের এখন সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশ অন্তত পাঁচ কোটি ডোজ টিকা কিনতে চায়। এজন্য তারা চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে এসব আনতে চায় বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, যারা কোভিশিল্ড টিকা নিতে নিবন্ধন করেছিলেন, কিন্তু টিকার প্রথম ডোজ পাননি, তাদের এখন সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে। বাংলাদেশে টিকা নেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। তাদের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ডের টিকা পেয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১০ জন। বাকিদের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এছাড়া নতুন করে যারা নিবন্ধন করবেন, তারাও এই টিকা পাবেন। আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস দুই ডোজ টিকার আগে পুরোপুরি নিরাপদ নয় বাংলাদেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচী কি গভীর সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে? কোভিড-১৯: বাংলাদেশে টিকায় আগ্রহ বাড়ার কয়েকটি কারণ করোনা ভাইরাস: যেসব কারণে গরমকালে সংক্রমণ বাড়তে পারে বাংলাদেশে এখন অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দেয়া হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশের বেক্সিমকোর মাধ্যমে কেনার জন্য ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেনা এবং উপহার হিসাবে পাওয়া এক কোটি দুই লক্ষ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার পর ভারত থেকে আর টিকা পাঠানো হয়নি। তাই এখন অন্যান্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। যারা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তারা কি অন্য টিকা নিতে পারবেন? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৌমিয়া সোয়ামিনাথান বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানও পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন বিশ্বে যেসব ট্রায়াল চলছে, সেখানে দুই ধরনের দুইটি টিকা নেয়ার পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত দুই কোম্পানির দুই ডোজ টিকা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে নেই। তবে এখন পর্যন্ত এটাই সুপারিশ করা হচ্ছে যে, যারা প্রথম ডোজ যে টিকা নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজও সেটা নেবেন। দুই কোম্পানির দুইটি আলাদা ডোজ নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক কমিটি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলছেন, ''বিশেষজ্ঞ কমিটি এক টিকার সঙ্গে অন্য টিকা নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে যারা কোভিশিল্ড পেয়েছেন, তারা সেটাই পাবেন। আর নতুন টিকার ডোজ যারা পাবেন, তারা শুধু সেই টিকার দ্বিতীয় ডোজই নেবেন।'' প্রথম ডোজ যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যেও কয়েক লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে টিকার সংকট কীভাবে সামলানোর পরিকল্পনা করছে সরকার ইতোমধ্যেই সরকার প্রথম ডোজের টিকা দেয়া এবং নিবন্ধন কার্যক্রমও স্থগিত করে দিয়েছে। এখন শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন যে টিকার নিবন্ধন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। "আপনারা জানেন, টিকার চালান চুক্তিমত আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যে কারণে আপাতত যাদের নিবন্ধন করা আছে, তাদেরই টিকা দেয়া শেষ করতে চাই আমরা।" কর্মকর্তারা বলছেন, টিকা আনার ব্যাপারে কূটনৈতিক পর্যায়েও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন আগে জানিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক থেকে দুই কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের চলমান টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তত ৪০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে টিকা আনার ব্যাপারেও চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া, একটি একটি বেসরকারি কোম্পানি মডার্নার ভ্যাকসিন আমদানি করার জন্য আবেদন করেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গাযায় ভবন ধ্বংসের জবাবে ইসরায়েলে রকেট হামলা, এ পর্যন্ত নিহত ৪০ মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ অভিনেতার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির জোয়ার চীনা রকেটের পৃথিবীতে পড়া নিয়ে কেন এত তোলপাড়
কোভিড: সিনোফার্মের করোনাভাইরাস টিকা বুঝে নিল বাংলাদেশ, কারা পাবেন চীনা ভ্যাকসিন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশে খামারিদের কাছে ব্রাহমা জাতের গরু জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে উৎপাদন ও পালন নিষিদ্ধ না হলেও ২০১৬ সালে এক নীতিমালা দিয়ে এই জাতটিকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক করা ব্রাহমা গরুগুলিকে আনা হচ্ছিলো ফ্রিজিয়ান জাত বলে ঘোষণা দিয়ে। আইন বহির্ভূতভাবে আমদানি করায় গরুগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এই ব্রাহমা জাতের উৎপাদন বাড়ার কারণে বাংলাদেশে মাংসের উৎপাদন বেড়েছে এবং চাহিদা মেটানো সহজ হয়েছে। এই জাতের গরু পালন সহজ ও লাভজনক, আর রোগ বালাইও অন্যান্য জাতের চেয়ে কম হওয়ায় স্থানীয় অনেক খামারি এই গরু আমদানি করতে চান। ব্রাহমা জাতের গরুর পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য এই মূহুর্তে বাংলাদেশে যেসব ব্রাহমা জাতের গরু রয়েছে তার প্রায় সবই কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রজনন করা গরু। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বিবিসিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাহমা জাতের গরুর সিমেন বা বীজ বা শুক্রাণু এনে সরকার কয়েকটি জেলায় স্থানীয় খামারিদের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে এই জাতের গরু উৎপাদন শুরু করে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ২০০৮ সালে প্রথম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর 'বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট' নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাহমা উৎপাদন কর্মসূচি শুরু করে। শুরুতে ১১টি উপজেলায় তিন বছরের জন্য এ কর্মসূচি চালু হলেও এখন প্রায় ৫০টির মত জেলায় চলছে এ কর্মসূচি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সরকার বলেছেন, ব্রাহমা গরু মূলত মাংসের জাত বলে পরিচিত। দুধের জন্য এই গরুর তেমন খ্যাতি নেই। ব্রাহমা গরু দেখতে অনেকটাই দেশি গরুর মতো, কিন্তু আকৃতিতে বেশ বড় হয়। এই গরুর মাংসের স্বাদ দেশি গরুর মতো। এর গায়ে চর্বি কম হয়, যে কারণে পুষ্টিগুণ বেশি। প্রাণী পুষ্টি ও জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাহমা গরুর আদি নিবাস ছিল ভারতে। কিন্তু বর্তমানে যেসব ব্রাহমা গরু বাংলাদেশ, ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় সেগুলো মূলত ব্রাহমার সিমেন বা শুক্রাণু দিয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া শংকর জাতের গরু। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল-নূর মোহাম্মদ ইফতেখার রহমান বলেছেন, ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে, যে কারণে এই জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত কথা বলা যায় না। তবে সাধারণভাবে ব্রাহমা গরুর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণের মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দেয়া হয়---এর উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলতা, দীর্ঘ জীবন এবং ক্রস-ব্রিডিংয়ে উচ্চফলন। সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ কেজি থেকে ১০০০ কেজির বেশি হতে পারে, আর একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হবে ৫০০কেজি থেকে ১০০০ কেজি। তীব্র গরমে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় ব্রাহমা গরু সুস্থ-স্বাভাবিক থাকতে পারে। সাধারণত একটি ব্রাহমা গরু ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো দীর্ঘ জীবন পাওয়ার নজির আছে। এছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল হবার কারণে ব্রাহমা জাতের গরুর রোগবালাই অনেক কম হয়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মি. রহমান বলেছেন, মাংস বেশি হবার কারণে বাংলাদেশে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই জাতের গরু। কোরবানির সময় বাজারে অস্বাভাবিক দাম হাঁকানো গরুগুলো মূলত এই ব্রাহমা জাতেরই গরু। বাংলাদেশের কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। সেগুলোর ফলাফল জানা গেলে আগামী দিনে এ জাতের গরুর উৎপাদন দেশে আরো বাড়বে। কেন নিষিদ্ধ করা হলো ব্রাহমা গরুর আমদানি? বাংলাদেশে যত পশু কোরবানি হয়, এক সময় তার একটা বড় অংশ আসতো ভারত থেকে। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধে সীমান্তে কড়াকড়ি দেয়। যে কারণে এক পর্যায়ে দেশীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা পূরণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ব্রাহমা জাতের বাছুরও সাধারণ দেশি গরুর চেয়ে বেশি ওজনের হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সরকার বলেছেন, সেসময় দেশীয় মাংসের চাহিদা পূরণে সরকার ব্যাপকভাবে ব্রাহমা গরু উৎপাদনের দিকে যায়। তিনি বলেন, ব্রাহমা জাতের গরু পালন খামারিদের জন্য সহজ এবং লাভজনক হওয়ায়, আর রোগ বালাইও অন্যান্য জাতের গরুর চেয়ে কম হওয়ায় স্থানীয় খামারিদের কাছে এই গরু অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই মূহুর্তে বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা একটি বড় অংশ আসছে ব্রাহমা জাতের গরুর মাংস থেকেই। কিন্তু ২০১৬ সালে সরকারের কৃত্রিম প্রজনন নীতিমালার অধীনে বেসরকারিভাবে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে খামারিদের মাধ্যমে ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করে। কারণ ব্যাখ্যা করে ডা. সরকার বলেছেন, এখন খামারিরা সরকারের কাছ থেকে সিমেন নিয়ে প্রজনন ঘটাচ্ছে, কিন্তু আমদানির অনুমতি পেলে খামারিরা ব্যাপক হারে এই গরু উৎপাদন করবে। তিনি বলেন, "কিন্তু এই জাতের গাভী তার আকৃতি অনুযায়ী অনেক দুধ দেয় না। এখন খামারিরা যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা উৎপাদন করে তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন একেবারেই কমে যাবে। মূলত সেই জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" সরকারের আশংকা ব্যাপক হারে ব্রাহমা গরু উৎপাদন হলে হোলস্টেইন জাতের বা ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে খামারিরা। এই জাতের গরু দুধের উৎপাদনের জন্য খ্যাত। বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেবার জন্যই মূলত নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্রাহমা জাতের গরুর আমদানি।
গরু: ব্রাহমা জাত থেকে বেশি মাংস পাওয়া গেলেও আমদানি নিষিদ্ধ যে কারণে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
প্রায় প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে নির্বাচনী সহিংসতার খবর বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সহিংসতা নির্বাচনী পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলছে, ভোটাররা কতটা উদ্বেগ বোধ করছেন - এসব প্রশ্ন নিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে শোনা গেল এরকমই কিছু উত্তর। ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু হতে না হতেই - রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রার্থীদের মিছিলে আক্রমণ, গাড়িবহরে হামলা, ভাংচুর-সংঘর্ষ ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে। সরকারবিরোধী বিভিন্ন দলের বেশ কয়েক জন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাও এসব হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। উৎসবমুখর একটা নির্বাচনের যে আশা ভোটারদের ছিল - এসব হামলার খবরে কি ভোটাররা উদ্বিগ্ন ? কতটা নিরাপদ বোধ করছেন তারা এই পরিস্থিতিতে? জানতে কথা বলেছিলাম বেশ কয়েকজনের সাথে। ঢাকার একটি আসনের ভোটার শান্তা আখতার। পেশায় চাকরিজীবী। আর কয়েকদিন পরেই নির্বাচন, তাই ভোটার হিসেবে নিজের ভোটটা দেয়ার উৎসাহ ছিল তার মধ্যে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই যেভাবে প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে তার খবর দেখে তিনি বলছেন, তিনি আতঙ্কিত বোধ করছেন। নির্বাচনী প্রচার শুরু হবার পর থেকেই সহিংসতার খবর আসছে। "এখন যে অবস্থা সেটাতে করে যেকোন সময় একটা নাশকতামূলক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি" - বলছেন এই নারী ভোটার। শান্তা আখতার বলছিলেন - "রাজনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল না সেটা আমরা জানি এবং দেখতে পাচ্ছি। এই ক্ষেত্রে আমরা ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পুরুষ অভিভাবক রয়েছে তারা সবসময় চায় যেন আমরা একটা নিরাপদ জায়গায় থাকি। আরো ঢাকার আরেকজন নারী ভোটারও বলছিলেন - পরিবার থেকেই তাদের এখন একটা সতর্কতার মধ্যে থাকতে বলা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতা ভোটারদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে প্রতিদিনই হচ্ছে সহিংসতা: কি করছে নির্বাচন কমিশন? সংসদ নির্বাচন: প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতায় নিহত ১ নির্বাচন কমিশন সহিংসতা থামাতে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে তিনি বলছিলেন "অন্তত আমরা নিরাপত্তার সাথে বাইরে, রাস্তায় বের হতে পারতাম। কিন্তু এখন আমাদের শোনার মত কেউ নেই। মেয়েরা যে রাস্তায় বের হলে বিপদে পড়তে পারে সেটা চিন্তা করার মত কেউ নেই। এক্ষেত্রে পরিবার থেকেই একটা বাধার মুখে পড়ছি"। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রার্থী - সবাই এরকম হামলার শিকার হয়েছেন। কথা হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুষ্টিয়ার কয়েকজন ভোটারের সাথেও । নাম প্রকাশ না করা একজন ভোটার বলছিলেন, নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যেতে পারবেন কীনা সেটা নিয়ে তার মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। "ভোট তো দেয়ার মত কোন পরিবেশ নেই। আর যদিও পরিবেশ থাকে - সেক্ষেত্রে সিল সামনে মারতে হবে। আর যদি তারা (রাজনৈতিক দলের নেতারা) মনে করে এই লোকটা আমার ভোট দেবে না তাহলে সে টার্গেটে থাকে। তার গতিবিধি, চলাফেরা সব টার্গেট করা হয়। আমরা সাধারণ ভোটার যারা তারা তো আতঙ্কের মধ্যে আছি" - বলেন এই ভোটার। প্রচারণা শুরুর পর থেকে জাতীয় ঐক্য-ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নরসিংদীতে মঈন খান, ঢাকায় মির্জা আব্বাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন নেতার প্রচার মিছিল বা গাড়িবহরে হামলার খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। অন্যদিকে হাসানুল হক ইনুর সভাসহ মহাজোট বা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড আক্রান্ত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে নড়াইল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও সদর উপজেলা সহ নানা এলাকা থেকে। নির্বাচনের আগে ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েন হবে সিরাজগঞ্জের একজন ভোটার বলছিলেন - যদি প্রার্থীদের ওপর হামলা হয় তাহলে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কোথায়? তিনি বলছিলেন "বর্তমান যে পরিবেশ আছে সেই পরিবেশ থাকলে তো আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবো না। এখনো পরিবেশ সৃষ্টি হয় নি ভোট দেয়ার মত। আমরা একটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। "যারা রাজনৈতিক কর্মী, নেতা - তারাই মার খাচ্ছে, আর আমরা সাধারণ মানুষতো কেন্দ্রেই যেতে পারবো না" - বলেন নাম-প্রকাশ-না-করা এই ভোটার। নির্বাচনের পূর্বে এই ধরণের হামলা এবং সহিংসতার ঘটনা ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত দেখা যায়নি বলে বিবিসি বাংলার কাছে মন্তব্য করেছিলেন একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার। তবে এবারের নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবার কথা - সেটা অনেকটাই উবে গেছে ভোটারদের মন থেকে। তাদেরকে আস্থায় আনার জন্য বা এই সব হামলা সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচনের কমিশনের কিছু করার আছে কীনা? এই বিষয়ে জানতে আমি একাধিক কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি। কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, সহিংসতার ঘটনার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন, এবং প্রক্রিয়া অনুযায়ী অভিযোগগুলো তদন্ত করেই কমিশন ব্যবস্থা নেবে। আরও পড়তে পারেন: 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্ভবত অস্থিতিশীল' যেভাবে যৌনপল্লী থেকে মুক্তি পেলো মেয়েটি নোয়াখালী ৫ আসনের ফলাফল নির্ভর করছে যেসব বিষয়ের ওপর
সংসদ নির্বাচন: প্রতিনিয়ত হামলা-সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন অনেক ভোটার
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ভারতের রাজস্থানে গরুর দুধের চেয়েও গোমূত্রের দাম বেশি। তাদের অনেকে গোমূত্র বিক্রি করছেন গরুর দুধের থেকেও বেশী দামে। অনেকে আবার যে গোমূত্র বিক্রি করছেন, তার দাম গরুর দুধের প্রায় কাছাকাছি। কৃষকরা বলছেন, গরুর দুধের দাম যেখানে লিটার প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা, সেখানে এক লিটার গোমূত্র কেউ বিক্রি করছেন ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। কেউবা আবার দাম নিচ্ছেন ৫০ টাকাও। তবে গরুর দুধ দোয়ানোর থেকে গোমূত্র সংগ্রহ করা অনেক বেশী কষ্টসাধ্য কাজ। সারা রাত জেগে বসে থাকতে হয় গোমূত্র সংগ্রহ করার জন্য। তবে যে বাড়তি রোজগার হচ্ছে গোমূত্র বিক্রি করে, তার জন্য ওইটুকু কষ্ট সহ্য করতেও রাজী রাজস্থানের গরুচাষীরা। তবে দেশি প্রজাতির গরু, যেমন গির বা থারপার্কার গরুর মূত্রের চাহিদা বেশ বেশী। অন্য দিকে জার্সি গরুর মূত্র তুলনায় কম বিক্রি হয়। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোমূত্র থেকে তৈরি জৈব সার যেমন চাষের জন্য প্রয়োজনীয়, তেমনই গোমূত্রের মধ্যে যেসব উপকারী রাসায়নিক রয়েছে, যা ঔষধি হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও হিন্দুদের পূজা অর্চনার জন্যও গোমূত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রাজস্থানের মহারানা প্রতাপ কৃষি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় গোমূত্র নিয়ে বড় আকারে গবেষণা চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ইউ এস শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "গোমূত্র থেকে অনেক গোপালক বাড়তি রোজগার করতে শুরু করেছেন। গোমূত্র সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে।" "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আর জৈব চাষের ক্ষেতে দেওয়ার জন্যেও বেশ কয়েকশো লিটার গোমূত্র প্রয়োজন হয় প্রতিমাসে। তবে এখনও গোটা ব্যবস্থাটাই অসংগঠিত অবস্থায় চলছে' বলেন তিনি। কেন গোমূত্রের চাহিদা বাড়ছে? আঞ্চলিক গবেষণা-পরিচালক শান্তি কুমার শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "গোমূত্রের মধ্যে ৯৫% জল থাকলেও বাকি অংশের মধ্যে আড়াই শতাংশ ইউরিয়া আর অন্য আড়াই শতাংশের মধ্যে হরমোন, এনজাইম, অ্যাস্ট্রোজেন, ল্যাক্টোজসহ প্রায় ১৪-১৫ রকমের রাসায়নিক থাকে। গোমূত্রের মধ্যে গোবর আর গুড় মিশিয়ে গাঁজানো হয়, তারপরে সেটি কৃষিকাজে ব্যবহার করা যায়।" ভারতে গরুর একটি খামার। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্য করে নেপালি মন্ত্রীর পদত্যাগ সৌদিতে নারী শ্রমিক নির্যাতনের কেন সুরাহা নেই? হলি আর্টিজান:আইএস সম্পৃক্ততা 'না থাকা' নিয়ে বির্তক বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম এত বেশি কেন? কৃষিবিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, দেশে জৈব চাষের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোমূত্রের চাহিদাও বাড়ছে। বিশেষত রাজস্থানে বাড়ছে জৈব-চাষের এলাকা। আর জৈব-ফসলের জন্য যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেখানে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় কী ধরনের সার ব্যবহার করা হয়েছে ওই ফসল ফলাতে। রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হলে সেই ফসলকে 'জৈব' বলে আখ্যা দেওয়া হয় না। তাই সরাসরি গোমূত্র অথবা তার থেকে তৈরি সার জৈব চাষের জন্য অপরিহার্য। কৃষি গবেষক শান্তি কুমার শর্মা বলেন, "জৈব ফসলের চাহিদা শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে বাড়ছে। তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোমূত্রের চাহিদাও।" "অনেক ব্যবসায়ী গোমূত্রকে নানা ভাবে বাজারজাত করছেন। গরুচাষীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলে গোমূত্রের যোগানও বাড়বে। তারাও গরু পালন করে বেশী রোজগার করতে পারবেন," বলেন তিনি। জৈব চাষ ছাড়াও হিন্দুদের পূজা অর্চনার জন্যও গোমূত্র মেশানো একটি উপাচারের প্রয়োজন হয় যার নাম পঞ্চগব্য। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবী গোমূত্রের ঔষধিগুণও রয়েছে। নানা রোগ নিরাময়ে গোমূত্র থেকে আরোহিত উপাদান কাজ করে বলে দাবী তাদের। যদিও এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
ভারতের রাজস্থানে গরুর দুধের চেয়েও গোমূত্র বেশি লাভজনক
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম যেটি বাংলাদেশের যেকোনো ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ৯৯ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস। পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত এই সেমিফাইনালে ১২ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পড়ে যায়। মূলত মুশফিকের ইনিংসকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে বাংলাদেশের পুঁজি। তিনটি উইকেট চলে যাওয়ার পর মুশফিক ও মোহাম্মদ মিথুন ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে। ৩৭ রানের এই জয়ে বাংলাদেশ দুবাইতে এশিয়া কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে। শচীন টেন্ডুলকার, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, মোহালি ২০০৭ বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে আলোচিত ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মোট ১৮ বার ৯০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে আউট হন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৭ সালে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শচীন ও সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করেন। মোহালিতে পাক-ভারত ওয়ানডে ম্যাচে শোয়েব আখতার ও শচীন টেন্ডুলকার শচীন ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৯১ বলে ৯৯ রান করে উমর গুলের বলে 'কট বিহাইন্ড' হন। ভারত ৩২১ রান করেও এই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার উইকেটে হেরে যায় এই ম্যাচে। ২০০৭ সালেই শচীন টেন্ডুলকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। সনথ জয়সুরিয়া, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অ্যাডেলেইড ২০০৩ সনথ জয়সুরিয়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মোট ছয় বার ৯০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে আউট হন। ২০০৩ সালে ভিবি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ইংল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ২৭৯ রান তোলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯ রানের একটি ইনিংস খেলার সময় জয়সুরিয়া নিক নাইট ইংল্যান্ডের হয়ে ৮৮ রান তোলেন। জবাব দিতে নেমে স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিংয়েই হাল ধরেন জয়সুরিয়া। ৮৩ বলে তিনি ৯৯ রানের মাথায় রান আউট হন। জয়সুরিয়া যখন আউট হন তখন শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৫ উইকেটে ১৫৮। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১৯ রানে হেরে যায় জয়সুরিয়ার শ্রীলঙ্কা। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, সেঞ্চুরিয়ন ২০০৩ বিশ্বকাপ ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ২০০৩ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তিনিও জয়সুরিয়ার মতো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মোট ছয় বার ৯০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে ৩১৯ রান তোলে। ৮৮ বলে ৯৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন 'গিলি'। ১৪টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ওপেনার। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কাকে ৯৬ রানে হারায়। শেষ পর্যন্ত ২০০৩ বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বিবিসি বাংলায় আরো দেখতে পারেন: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচের দারুণ কিছু মুহূর্ত পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ ২০০৪ সালে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, প্রতিপক্ষ ভারত, লন্ডন ২০০৪ অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ছিলেন হাল আমলের অন্যতম সেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ২০০৪ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ফ্লিনটফ ৯৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে হরভজন সিংয়ের বোলিং তোপে পড়ে ইংল্যন্ড। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পল কলিংউডের সাথে জুটি বাঁধেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ফ্লিনটফ। সেই জুটিতে দুজন ১৭৪ রান যোগ করেন। ফ্লিনটফ ৯৩ বল খেলে করেন ৯৯ রান। ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তোলে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ভারতকে ৭০ রানে হারায়। রাহুল দ্রাবিড়, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, করাচি ২০০৪ করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাহুল দ্রাবিড় ২০০৪ ভারতের পাকিস্তান সফরটি ছিল ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ক্লাসিক একটি সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয় করাচিতে পাকিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে। শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরেন্দর সেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির দারুণ শুরুর পর রাহুল দ্রাবিড় ১০৪ বলে ৯৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ভারত পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান তোলে। পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৩৪৪ রানে। শেষ বলে ৫ রান প্রয়োজন ছিল কিন্তু মইন খান আশিষ নেহরার বলে ক্যাচ তুলে দেন জহির খানের হাতে। এই ম্যাচে ১২২ রান করে ম্যাচসেরা হন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ইউটিউবে আয়েশি খাবারের সমারোহ: ফুড ব্লগারদের অমিত সম্ভাবনা সাগর পাড়ি দেয়া অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে কিন্তু বেড়েছে মৃত্যু? গুগল সম্পর্কে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই
মুশফিক ও ওয়ানডে ক্রিকেটের পাঁচটি স্মরণীয় ৯৯
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
প্রতিদিন ফেসবুকে একাধিকবার লগ ইন করেন এমন মানুষ এখন বাংলাদেশে অনেক। অনেক নারী বলছেন, তারা যেকোনো মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে কিংবা পাবলিক পোস্টে কমেন্টের ক্ষেত্রে নানা ধরনের হয়রানির মুখে পড়েন, নানা বাজে মন্তব্যের শিকার হতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন পুরুষ যত সহজে তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন, একজন নারীও কি সেভাবে পারেন? বাংলাদেশে নারীদের অনেকেই উত্তরে বলছেন 'না'। কেন? ঢাকার রত্না আক্তার বলেন, তিনি ফেসবুকে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে লিখতেন কিন্তু এখন আর সহজ বোধ করেন না, তার ব্যক্তিগত মতামত সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরতে। কারণ ট্রল করা হয়, বাজে মন্তব্য করা হয়। " দেখা গেল ফেসবুকে কিছু লিখেছি পোস্ট করেছি সেখানে পরিচিত অপরিচিত বিভিন্ন লোকজন বাজে কমেন্ট করে। ট্রলও করা হয়। একবার আমার একটি পোস্ট পরিচিত একজন কপি করে সেটি শেয়ার দিয়েছে এবং সাথে বাজে কিছু কথা যোগ করেছে। পরে সেখানে আরও অনেকে বাজে কমেন্ট করেছে যা খুব অপমানজনক। এটা কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়না।" অনেক নারী বলছেন, তারা যেকোনো মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে কিংবা পাবলিক পোস্টে কমেন্টের ক্ষেত্রে নানা ধরনের হয়রানির মুখে পড়েন, নানা মন্তব্যের শিকার হতে হয়। (ফাইল ফটো) রাজনৈতিক বা সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে মেয়েরা সোশ্যাল মিডিযাতে সরব ভূমিকা নিলে সেখানেও পুরুষদের দ্বারা বাড়তি আক্রমণের মধ্যে পড়তে হয় মেয়ে বলে - বলছিলেন জিনাত জোয়ার্দার রিপা নামে আরেকজন নারী। তিনি জানালেন এ কারণে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ফেসবুকে লিখতে গেলে রীতিমত চিন্তা-ভাবনা করে লিখতে হয়। "একটা সময় আমি অনেক বিষয়ে লিখতে পারতাম। কিন্তুএখন আমাকে পাঁচবার ভাবতে হয়। চিন্তা করতে হয় কি লিখবো, কে দেখবে, কি ভাববে? রাজনৈতিক কিছু লিখো সেখানে হয়তো কেউ এমন কমেন্ট করলো যা আমাকে আহত করছে। দেখা গেল আমি যা ভেবে লিখেছি তাতে সে কানেক্ট করতে না পেরে তার চিন্তা আমার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।" এমন প্রেক্ষাপটেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু মেয়েরা মিলেও ক্লোজড গ্রুপ তৈরি করছেন- যেখানে তাদের নিজেদের ভাল লাগা, মতামত, তারা শেয়ার করছেন। একে অন্যের প্রয়োজনে পাশে দাড়াচ্ছেন। ফেসবুকে এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম ফেমিনা গড়ে তুলেছেন মিজ জোয়ার্দার। তিনি বলছিলেন, কেন এমন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন মনে হলো। "আমি হয়তো একজন মেয়ে হিসেবে কোন শাড়ির সাথে কেমন সাজবো সেটা জানতে চাইতে পারি-কিন্তু একজন পুরুষ সেখানে বাজে কমেন্ট করবে। এ কারণে আমরা মেয়েদের একটা পাতা খুলেছি। শুধূ সাজগোজের বিষয় না সেখানে প্রাণখুলে মেয়েরা যেকোন বিষয়ে আলাপ করবে। মেয়েরা মেয়েদের বন্ধু হবে।" সমাজের অনেক স্তরের মত সামাজিক মাধ্যমেও পুরুষদের আধিপত্য নারীদেরকে বিভিন্ন ভাবেই তাড়িত করছে । ফলে সেখানে আইনের প্রয়োগ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও বেশি প্রভাব রাখতে পারে সামাজিক পরিবর্তন। বলছিলেন সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক মনিুরল ইসলাম খান। "এটা সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়। আইন দিয়ে সামাজিক পরিবর্তন হয়না। তবে আইন এর কন্ট্রিবিউশন আছে । তাই একে উপেক্ষা করলে হবেনা।" নিজেদের ছবি দেয়ার কারণেও অশ্লীল এবং মানহানিকর মন্তব্যের শিকারও হতে হয়। এমন অভিজজ্ঞতার কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশে অনেক মেয়েরা এখন ইনস্ট্রাগ্রামে ছবি পোস্ট করছেন। তিনি বলেন,"একবার আমার একটি ছবির নিচে এমন বাজে কমেন্টএলো লিখলো "আমার সাথে থাকবেন? কত টাকা লাগবে?" পরে ছবিটি ডিলিট করে ফেলতে বাধ্য হন এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীটি। বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় নারীদের কিছু কমেন্ট সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে ফেসবুকে পাবলিক পোস্টে কমেন্ট বা লাইক দেয়ার পর বিড়ম্বনার শিকার হতে হওয়ার কোন অভিজ্ঞতা থাকলে তা জাানতে বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় আহ্বানে সাড়া দিয়ে নারীরা যেসব কমেন্ট লেখেন সেখানে ফারহানা রহমনা নামে একজন লিখেন, "আমার একবারই হয়েছিল এ অভিজ্ঞতা!! আসলে ঐ একবারই কমেন্ট করেছিলাম একটি বাংলা পত্রিকার নিউজে. তারপরের ঘটনা ভয়াবহ!! গালাগালির বন্যা!!! এবং একসময় সেই সব কাপুরুষ গুলা আমার প্রোফাইলে ঢুকতে ও আমাকে মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা শুরু করল. যাই হোক ফেসবুক প্রাইভেসির কারনে সে যাত্রায় আমার আই ডি টা বেঁচে গিয়েছিল!! এরপর আর জীবনেও ওমুখো হইনি!!!" সুরাইয়া পারভিন শোভা লেখেন, " যতবার কোন ডেইলি নিউজপেপারের কোন নিউজে কমেন্ট করি, প্রায় ততবার ভুগতে হয়। অচেনা অজানা মানুষের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, আজে বাজে মেসেজে- এসব আসতে থাকে। যেটা সম্পূর্ণ অবান্তর, বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর।" দিনা আকতার বলেন, " হ‍্যা ,আমাকেও অনেক বার এরকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। এমনকি কোন পোষ্ট এ মতামত প্রকাশ করতে গেলে প্রায়শই আপত্তিকর কথা শুনতে হয়। তাই আমাকে আমার ছেলে নাম এর ফেইক আইডি থেকে কমেন্ট করতে হয় এবং ফেইসবুক এ মতামত প্রকাশ করতে হয়। এমনকি বিবিসি এর নিউজ এ কমেন্ট করতে গেলেও আমাকে এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। মোটকথা আমার নিজের আইডি থেকে কোন কমেন্ট বা কোন পোষ্ট করার আগে আমাকে বহুবার ভাবতে হয় এই কমেন্ট বা পোষ্ট করলে আমি কোন নোংরা কমেন্ট এর মুখোমুখি হব কিনা। একজন নারী হিসেবে স্বাধীনভাবে আমি আমার মতামত প্রকাশ করতে পারছি না।" আফরিন লিজার কমেট, "নারীরা কোন মন্তব্য করা মাত্রই তার উত্তরে অশ্লীল মন্তব্য,, নারী পুরুষ সবার নৈতিকতার অভাব, মানুষের লজ্জা উঠে গেছে," নাদিয়া শোভা উল্টো ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, " তা আপনারা কি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন নাকি শুধু ফাজলামোর জন্য এই পোস্ট টা করছেন? 😡" বাংলাদেশে যেসব নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ৭০ শতাংশের বেশি নানাভাবে অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে ফেসবুকে পাবলিক পোস্টে কমেন্ট বা লাইক দিলে প্রায়ই নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে নারীদের। অনেক সময় কমেন্ট বা পোস্ট নিয়ে বাজে ধরনের ট্রলও হয়। শুধু ট্রলের শিকার হওয়া নয়, অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের মত প্রকাশের কারণে হুমকিরও শিকার হতে হচ্ছে। নারীদের সামাজিক মাধ্যমে হুমকি, ব্ল্যাকমেইলিং বা হয়রানির মুখে পড়লে সেক্ষেত্রে কি ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব? পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান বলেন, আইন এসব ঘটনার কে।সত্রে অভিযোগ এলে তথ্য প্রযুক্তি আইন, কিংবা পনোর্গ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং দণ্ডবিধি আইন, নারী নির্যাতন দমন আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা। এবং বিভিন্ন ধরনের সাজার বিধান রয়েছে। তিনি জানান তাদের কাছে যত অভিযোগ বা মামলা আসে সাইবার ক্রাইম বিষয়ে তার ৭০ ভাই আসে মেয়েদের কাছ থেকে। বর্তমান সময়ে সামাজিক মাধ্যমে বিচরণ নেই এমন নারী পুরষের সংখ্যা ক্রমে কমে আসছে। এই মাধ্যমকে ঘিরে পরিচয় বন্ধুত্ব প্রেম বিয়ে বিচ্ছেদ যেমন চলছে, নানা ধরনের খবরের উৎস, প্রচার-প্রচারণা সবকিছুর জন্য ব্যবহারও করা হচ্ছে ফেসবুক টুইটারসহ প্ল্যাটফর্মগুলোকে। কিন্তু তারপরও সব বয়সী মানুষের মাঝে সামাজিক মাধ্যম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও, এখনও সেখানে নারীরা স্বস্তিকর পরিবেশ খুজে ফিরছেন বলেই প্রতীয়মান হয়। আরু পড়ুন: মুসলিমদের ওপর বৌদ্ধদের সহিংসতা ঠেকাতে হিমশিম শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? 'মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি অংশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আটকাতে চায়'
সামাজিক মাধ্যমে নারী: 'একবারই কমেন্ট করেছিলাম একটি বাংলা পত্রিকার নিউজে, তারপরে গালাগালির বন্যা!'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে নানান খবর প্রকাশ হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছেন। ড: মোমেন বলেছেন, কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সীমান্ত দিয়ে কোনো বিদেশীকে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না। এদিকে, ঝিনাইদহ এবং রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সাথে স্থানীয় লোকজন কমিটি গঠন করে রাতে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের এনআরসি বা নাগরিক তালিকার ভয়ে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনেক চেষ্টা হতে পারে, এমন আশংকার বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক কোনো পরিস্থিতি হবে না বলে সরকারি কর্মকর্তারা বলে আসছেন। একইসাথে বাংলাদেশ ভারতের সাথে সীমান্তে পাহারা বা নজরদারি বাড়ানোর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কি বলছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো কাগজপত্র ছাড়া কেউ যেনো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। "আমরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত প্রটেকশনে রাখি। সম্প্রতিকালে আপনাদেরই বিভিন্ন তথ্য থেকে আমরা দেখি, কিছু কিছু যারা বিদেশে গেছেন, তারা ফিরে আসছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের অবশ্যা আমরা গ্রহণ করি। কিন্তু অন্যবিধ নাগরিক যদি আসেন, তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করি না।" লালমনিরহাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি চেকপোস্ট "যেহেতু বিভিন্ন খবর বের হয়, সেকারণে আমরা আর একটু সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব সীমান্তে আমরা কিছুটা খেয়াল রাখবো। যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত পাড়ি না দেয়, সেটা আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। এটা আলাপ করেছি।" স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্তে ইতিমধ্যেই নজরদারি বাড়িয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কি ভারতের সাথে এনিয়ে কোনো কথা বলছে? বাংলাদেশ সরকার এই ইস্যু নিয়ে উচ্যবাচ্য করছে না বলে বিরোধীদলগুলো অভিযোগ করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় ভারতের সাথে আলোচনা করেছেন। ভারত বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। "এ ব্যাপারে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। ভারত সরকার আমাদের বার বার অঙ্গীকার করেছে, আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে এই ইস্যু বাংলাদেশকে কোনোভাবে প্রভাবিত করবে না। এনআরসি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমরা ভারত সরকারকে বিশ্বাস করি।" গত মাসে অবৈধ বাংলাদেশী সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে ধৃতদের কয়েকজন মাঠের অবস্থা কী? দেশের দক্ষিণ পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে প্রথম ১০/১২ জন করে ছোট ছোট দলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয় বলে বিজিবি'র কর্মকর্তারা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, এই মহেশপুর সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৮জনকে আটকের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। গত এক মাসে মহেশপুর সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে কোনো কাগজপত্র ছাড়া ভারত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে প্রায় আড়াইশ জনকে আটক করা হয়েছে বলে বিজিবি'র কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। মহেশপুরের সীমান্তবর্তী একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সায়রা খাতুন বলছিলেন, সীমান্তে পাহারার কারণে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেই ধরা পড়ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ঝিনাইদহে গত একমাসে আটকদের বেশিরভাগ ভারতে এনআরসি বা নাগরিক তালিকার ভয়ে বাংলাদেশে এসেছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে বলে বিজিবি'র কর্মকর্তারা বলছেন। উত্তর পশ্চিমে রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে সীমান্তবর্তী চর এবং গ্রামগুলোতে স্থানীয় লোকজন দিয়ে কমিটি করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানকার একটি ইউনিয়নের একজন কাউন্সিলর কোহিনুর বেগম বলছিলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা বিজিবির সাথে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের এলাকায় এখন অবৈধ অনুপ্রবেশের কোনো চেষ্টা হয়নি।
ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপির একজন নেতা জানিয়েছেন যে মামলার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মামলাগুলো পরিচালনা করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। ঢাকার যেসব প্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন, সেই মামলাগুলোর পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন আইনজীবী প্যানেলের সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান, "প্রতিটি নির্বাচনী আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা যে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, সে সম্পর্কে কতগুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যেগুলো আমরা আমাদের প্রার্থীদের কাছে থেকে পেয়েছি, সেগুলো আমরা আদালতের দৃষ্টিতে এনেছি।" মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে উদাহরণ হিসেবে একটি মামলার অভিযোগের বিবরণ দিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ঝিনাইদহ ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ করেছেন যে একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২৬২ জন। সেখানে ভোট পড়েছে ২২৫১টি। সেখানে ভোটার তালিকা থাকা ২৫ জন এরই মধ্যে মারা গেলেও রিটার্নিং অফিসারের হিসেবে দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হননি ভোটার তালিকায় থাকা মাত্র ১১ জন ব্যক্তি। "তাহলে ১৪ জন মৃত ব্যক্তি কি ভোট দিয়েছেন? তা নাহলে এই অংক তো মেলার কথা না। কে কবে মারা গেছে সেটা আমরা আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছি," বলছিলেন রুহুল কুদুস কাজল। মৌলভীবাজারে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যে আসনে নির্বাচন করতেন, সেই আসনে বিএনপি প্রার্থী ছিলেন তাঁর ছেলে। তিনিও মামলা করেছেন বলে জানান আইনজীবীরা। মামলার একটি অভিযুক্ত পক্ষ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলছেন, ওই আসনের বেশ কটি কেন্দ্রে একশো' শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। "একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একাই সব ভোট পেয়েছেন। এটা অকল্পনীয়।" আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচনের আগের রাতে অধিকাংশ কেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ভরে রাখা, নির্বাচনের দিন বিএনপির পোলিং এজেন্ট ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে বাধা, ভোটারদের ভয় দেখানো, প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করা ইত্যাদি নান অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাগুলোয়। নির্বাচনের আগে বিএনপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা মামলা' দিয়ে প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়েছে - এমন অভিযোগও আনা হয়েছে বিএনপি প্রার্থীদের দায়ের করা কোন কোন মামলায়। মামলাগুলো কাদের বিরুদ্ধে? যে কটি মামলা হয়েছে, সেগুলোর বাদী ঐ নির্দিষ্ট আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী। আর এসব মামলায় এক নম্বর বিবাদী করা হয়েছে সরকার দলীয় অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হওয়া প্রার্থীকে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আরো পড়ুন: বিএনপির প্রাপ্ত ভোট চমকে দিয়েছে অনেককে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক কেন? সংসদ নির্বাচন: মামলার প্রশ্নে বিএনপির যত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রুহুল কুদ্দুস কাজল জানিয়েছেন, মামলায় উল্লেখ করা আসনগুলোর দায়িত্ব থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নামও মামলায় প্রতিপক্ষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, "সাধারণভাবে বিভিন্ন সময়ে আমরা নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে যে প্রতিকার পাইনি এবং নির্বাচন কমিশনের উপর একটা ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন করার যে দায়িত্ব ছিল, সেই দায়িত্ব তারা পালন করতে পারেনি - সেই কথাগুলো মামলার আর্জিতে তুলে ধরেছি।" মামলায় এক নম্বর অভিযুক্ত ওইসব আসনে বিজয়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বিএনপি প্যানেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা নানা তথ্য-প্রমাণ ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন, যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। রয়েছে প্রচুর ভিডিও এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। বিএনপি'র বক্তব্য গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে মামলা করার ব্যাপারে আগেই বিএনপির দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বাধ্যবাধকতা ছিল বলে জানা গেছে। রুহুল কবির রিজভী বলছেন, সবগুলো ধাপ দেখতে চান তারা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলা থেকেই অন্তত একজন বিএনপি প্রার্থীর এই মামলা করার কথা, তবে এই সংখ্যা একাধিকও হতে পারে। মামলা দায়েরের কারণ সম্পর্কে মি. রিজভী বলেন, "একটা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের যে ধাপগুলো, এর সবগুলোই আমরা দেখতে চাই। এই মামলাও সেই সংগ্রামের একটা অংশ।" তিনি আরও বলেন, "শেষ ভরসা হিসেবে উচ্চতর আদালতে গিয়ে আমরা দেখতে চাই, এখান থেকে আমরা কি ধরনের প্রতিকার পাই।" ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অবশ্য আগেই নির্বাচন নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলো নাকচ করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছেন যে নিজেদের ভুলের কারণেই বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। নির্বাচনে যে অল্প সংখ্যক অনিয়মের অভিযোগ ছিল, সেগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া বিএনপি'র দায়ের করা মামলাগুলোর প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, "যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতে মামলা করতে পারেন। মহামান্য হাইকোর্ট যদি কোন বিষয়ে আমাদের জবাব দিতে বলেন, তাদের আর্জির ভিত্তিতে আমরা জবাবটা দিয়ে দেবো।" তিনি আরও বলেন, "তাদের তথ্য-প্রমাণ থাকুক। আমাদেরও তথ্য-প্রমাণ আছে।" সচিব আবারও দাবি করেন যে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অন্যান্য খবর: সমালোচনা সত্ত্বেও শেখ হাসিনায় আস্থা কেন পশ্চিমাদের? অংক করে যেভাবে ঠিক হতো চীনা সম্রাটের শয্যাসঙ্গী পোশাক শিল্পে যৌন হয়রানি: 'ওরা গায়ে হাত দেয়'
সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের মামলা: ভোটে হেরে কী অভিযোগ এনেছেন তাঁরা?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
অ্যাভাটার নামের এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মারা যাওয়া বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের ছবির পাশে নিজেকে দাড় করিয়ে মানুষজন সেলফি তুলতে পারবে, যেন জীবিত দুইজনের সেলফি অ্যাভাটার নামের এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মারা যাওয়া বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের ছবি ত্রিমাত্রিক স্ক্যান করে এমনভাবে তৈরি করা হবে, যেন তিনি এখনো জীবিত। এরপর সেই ছবির পাশে নিজেকে দাড় করিয়ে মানুষজন সেলফি তুলতে পারবে, যেন জীবিত দুইজনের সেলফি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মৃত সেই স্বজনের সঙ্গে কথাও বলা যাবে। এলরোইস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, ইয়ুন জিন লিম বলছেন, আমরা আসলে এই পরিকল্পনাটা করেছি এমন কারো জন্য, যে তার কোন স্বজন বা বন্ধুকে হারিয়েছে। আমার ব্যক্তিগত একটি বিষয় থেকে প্রথম এই ধারণাটি আসে। কয়েকবছর আগে আমার দাদি মারা যান, কিন্তু আমি দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম, তার সঙ্গে তার কোন ছবি নেই। এরকম ক্ষেত্রে আমাদের অ্যাভাটার হবে আদর্শ একটি অ্যাপ। তিনি মনে করেন, এটা মিথ্যা বা জালিয়াতি নয়, কারণ এটি ত্রিমাত্রিক ছবি। আসল মানুষটি তো আসলে মনের ভেতরেই থাকে। হয়তো অনেক মানুষ নেতিবাচক ভাবেও বিষয়টি ভাবতে পারে, বলছেন ইয়ুন জিন লিম। প্রথমদিকে ছবিগুলো ত্রিমাত্রিক করার জন্য কোন পেশাদার প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হবে। তবে ভবিষ্যতের মোবাইল ফোনে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি চলে এলে তখন মানুষ নিজেরাই ছবি ত্রিমাত্রিক করে নিতে পারবেন বলে অ্যাপ নির্মাতারা আশা করছেন।
মৃত স্বজনের সঙ্গে সেলফি তোলার অ্যাপ বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
প্রথম দু ম্যাচ হেরে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। দেরাদুনে প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে আর দ্বিতীয় ম্যাচে ছয় উইকেটে পরাজয়ের মাধ্যমে খেই হারানো বাংলাদেশের হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়াতে তৃতীয় ম্যাচে কি করা উচিত? এ নিয়ে বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেজে নানা ধরনের মতামত এসেছে। কেউ টিম সিলেকশন নিয়ে যেমন মন্তব্য করেছেন আবার কেউবা কথা বলেছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে। মোহাম্মদ শরীফ যেমন পরামর্শ দিয়েছে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে আজকের ম্যাচে না নামাতে । আর একই সাথে তামিম ইকবালকে অধিনায়কত্ব দিলে আজকের ম্যাচ বাংলাদেশ জিতবে বলেই মনে করেন তিনি। আর ওসমান ফরহাদ লিখেছেন, "সৌম্য যেহেতু ওপেনিংয়ে অভ্যস্ত, নিচের দিকে সে রান পাচ্ছেনা। তার পরিবর্তে সে জায়গায় মেহেদী বা আরিফকে খেলানো যেতে পারে।আর সৌম্য খেললে তাকে দিয়েই ওপেনিং করানো উচিত"! মো: হীরাও বলছেন, "আমাদের দলের নির্বাচক যারা আছেন তাদের দুটো খেলোয়াড় পরিবর্তন করা দরকার- সৌম্য সরকার আর সাব্বির রহমান। এদের বাদ দিয়া আরিফুল হক আর মেহেদি মিরাজকে নেয়া। এতে বাংলাদেশ পুরা ব্যালেন্স টিম হয়। অধিনায়ক এর দায়িত্ব মাহামুদুল্লাহ কে দিতে হবে"। শিহাব বাশার সোজাসাপ্টাই বলেছেন যে সাকিবকে বাদ দিতে হবে আর মাহামুদুল্লাহকে অধিনায়ক করতে হবে। সুব্রত চাকমা বলছেন, "ক্রিকেট খেলায় ক্যাপ্টেন এর ভূমিকা অনেক। সাকিব খেলোয়াড় হিসাবে ভালো খেলোয়াড়, এতে কারোর দ্বিমত নেই। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসাবে সে কতটা ফিট? মাহমুদুল্লাহকে ক্যাপ্টেনসি করার সুযোগ দেয়া দরকার"। আরো পড়ুন: রশিদ খান বর্তমান বিশ্বের সেরা স্পিনার? যে কারণে আফগানিস্তানের কাছে হারলো বাংলাদেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট: আফগান বিপর্যয় নিয়ে তোলপাড় সমালোচনা হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্ব নিয়েও। রশিদ খানের স্পিন ভীতি এবার সিরিজ জুড়ে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানকে নিয়ে রীতিমত আতঙ্কে ছিলো বাংলাদেশ দল। তাই তাকে নিয়েও নানা পরামর্শ এসেছে অনেকের কাছ থেকে। ফয়সাল আহমেদ লিখেছেন, " রশীদ খানের বলগুলো সামনে এগিয়ে খেলতে হবে আর ব্যাটটা সোজা রেখে খেলতে হবে। তাহলে ভাল খেলা যাবে- যেমন ভাবে আবু হায়দার রনি রশীদ খানের দুটি বল খেলেছেন"। আর আরিফ উদ্দিন বলেন, "আমি মনে করি রশীদ খানকে দেখে খেলা উচিত।রশীদ খানের ৪ ওবারে ১০ রানের বেশী নেওয়ার দরকার নাই।কারণ গত দুই ম্যাচে রশীদ খান কে খেলতে গিয়ে ১৩০-১৩৫ এর বেশী যায় নাই।আমি মনে করি রশীদ খান খুব ভালো মানের বোলার ক্রিকেট বিশ্বে।" প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব নিয়ে খেলা ক্রিকেটীয় কিছু মৌলিক পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। রাজু রায়হান লিখেছেন, " প্রত্যেকের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে...বিগ শটস খেলতে হবেই ..তাড়াহুরা করা যাবে না ...নরমাল খেলাই খেলতে হবে ...ব্যাটিং পজিশন ঠিক ভাবে সাজাতে হবে"। আর মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম লিখেছেন, "...তাদের মনে রাখা উচিত যে এটা জাতীয় দল, পাড়ার কোনো দল না যে ইচ্ছা করেই আউট হয়ে গেলাম।জেতার ইচ্ছাটা মনে আছে বলে মনে হয়না"। এখন দেখা যাক আজকের খেলায় আফগানিস্তানকে হারাতে এসব কোন পরামর্শ কাজে লাগাতে পারে কি-না সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এশিয়া কাপে উড়ছে নারী ক্রিকেটাররা, উন্নতির রহস্য বিশ্বকাপ ফুটবল: কিছু মজার তথ্য ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এবার ইফতার হবেনা
বাংলাদেশ ক্রিকেট: আফগান বিপর্যয়ে আলোচনায় সাকিবের অধিনায়কত্ব ও রশিদের স্পিন ভীতি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
তসলিমা নাসরিন দুই দশকের বেশি সময় ধরে নির্বাসিত রয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত নাম "মাসুদা ভাট্টি"। গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলে মন্তব্য করেন নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক এবং তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরপর দেশের ৫৫ জন বিশিষ্ট সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির পাশে দাঁড়িয়ে মইনুল হোসেনকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গতকাল (রোববার) তাকে ভীষণ রকম চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেখানে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যারা কুৎসা রটাতে শুরু করলো, সেই মিছিলে সামিল হলো মাসুদা ভাট্টি।" রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্যের কারণে আলোচনায় আসেন তিনিও। পরে মাসুদা ভাট্টিও তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিনের দেয়া স্ট্যাটাসের জবাবে পাল্টা একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, "যখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কবলে থেকে একদল মানুষ ন্যয়ের জন্য লড়ছে, তখন মইনুল হোসেনের দেওয়া তকমা "চরিত্রহীন"-কে একটি "ভীষণ" শব্দ জুড়ে দিয়ে আমার চরিত্রের সার্টিফিকেট-কে আরো শক্ত করেছেন তসলিমা নাসরিন।" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দুইজনের এই পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসের কারণে এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের আন্দোলনের ধারাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। যেখানে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছেন তসলিমা নাসরিন বনাম মাসুদা ভাট্টি। যে টক-শোতে এই বিতর্কের সূত্রপাত। এখন মাসুদা ভাট্টি বনাম তসলিমা নাসরিন বিষয়টিকে 'দু:খজনক' বলে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, "মাসুদা ভাট্টির সঙ্গে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের যে রাজনৈতিক তর্ক চলছিল, সেটা এক পর্যায়ে অন্যদিকে মোড় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে গড়িয়েছিল। পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মন্তব্য নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হল, তখন সেই ইস্যুটা আবার ঘুরে গেল তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্টের পর।" বিষয়টি কোন অবস্থাতেই তসলিমা নাসরিন বা মাসুদা ভাট্টির ব্যক্তিগত রেষারেষির জায়গা নয় বলে তিনি মনে করেন। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, "বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে সেই শব্দ চয়ন করেছেন। কোন নারীকে তিনি এমন বলতে পারেননা। পাবলিক মিডিয়াতে তো বলতেই পারেননা। কেননা এতে একজন মানুষের সম্মানহানি হয়।" তিনি বলেন, "ব্যারিস্টার মইনুল এখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই একজন প্রতিভূ। যেখানে একজন নারীকে সহজেই চরিত্রহীন বলা যায়। যেকোন সমস্যায়, তর্কে বা দ্বন্দ্বে নারীকে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে প্রতিবাদ করছেন, সেটা যথার্থ, ন্যায্য।" তসলিম নাসরিনও তার লেখায় আক্ষেপ করে বলেছেন যে তাকে যখন দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, তখন তিনি কাউকে পাশে পাননি। তবে এক্ষেত্রে সময়টাকে বড় শক্তি হিসেবে দেখছেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, "হলিউড বলিউড থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে এখন নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে হ্যাশটাগ মি-টু আন্দোলনের জোয়ার চলছে। তারই এক কাছাকাছি সময়ে মাসুদা ভাট্টির উদ্দেশ্যে মইনুল হোসেনের এমন মন্তব্য করলেন। বাচিক যৌন নির্যাতন বলা যেতে পারে, যেখানে তাকে অসম্মান করা হয়েছে।" "এখন এই মিটু আন্দোলনের মধ্যে এমন মন্তব্য আসলে প্রতিবাদের আগুনটা জ্বালিয়ে দিয়েছে। টাইমিংটা এখানে খুব ইম্পরট্যান্ট। বলা যায়, সময়টার কারণেই এতো তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।"
বাংলাদেশে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি- ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বিতর্ক ঢুকে পড়লেন তসলিমা নাসরিন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
রামুর হামলার পর তোলা ছবি এর মধ্যে এবারই প্রথম পুলিশ শুরুতেই জানিয়েছে, তারা এটি উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে যে ভোলার বোরহানউদ্দিনে একজন হিন্দু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুসলমানদের নবী মোহাম্মদকে অবমাননার অভিযোগ তোলা হলেও এটি করেছেন দুজন মুসলিম। ওই হিন্দু ব্যক্তি আগেই তার আইডি হ্যাকের কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে যে দুই মুসলিম ব্যক্তি একজন হিন্দু ব্যক্তির ফেসবুক হ্যাক করে নবী অবমাননাকর বার্তা দিয়েছিলেন তাদের আটক করা হয়েছে। তবে হিন্দু বা বৌদ্ধদের ওপর এ ধরণের ভুয়া খবর প্রচার করে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের বাড়িঘর ও বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনা পুরো দেশকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলো। তখনও ফেসবুকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একজনের নামকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছিলো। এবার সর্বশেষ ভোলাতেও সেই একই কৌশল দেখা গেছে। তবে এবার পুলিশ শুরুতেই জড়িত দুজনকে আটক করেছে। বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য নামে একজনের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঐ বার্তাটি বিভিন্নজনকে পাঠানো হয় বলে জানাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু এরই মধ্যে এর জের ধরে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে চার জন এবং ইসলামপন্থীরা ফাঁসি দাবি করছে মি. বৈদ্যের। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনার জন্য যে দুজন দায়ী তাদের আটক করা হয়েছে তারাই বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ম্যাসেঞ্জারে নবী অবমাননাকর বার্তা দিয়েছে যেগুলো পরে স্ক্রিনশট নিয়ে বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যের বলে প্রচার করে। মিস্টার বৈদ্য এর আগে থানায় উপস্থিত হয়ে তার আইডি হ্যাক করার কথা জানান ও তিনি এখনো পুলিশ হেফাজতেই আছেন। এরপর তৌহিদী জনতার ব্যানার নিয়ে মাঠে নামে একদল ব্যক্তি ও যা পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে। নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর মন্দিরে হামলা হয়েছিলো ফেসবুক ব্যবহার করে ধর্ম বা নবী অবমাননার অভিযোগ তুলে একই কৌশলে হিন্দু বা বৌদ্ধদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে আগেও। কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ পল্লির হামলা সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার জেলার রামুতে ২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি ছবি ট্যাগ করার ঘটনা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। উত্তম বড়ুয়া নামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক যুবকের ফেসবুকে কোরান অবমাননার ছবি কেউ ট্যাগ করে দেয়। এর জের ধরে রামুতে বৌদ্ধ স্থাপনা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে হামলা করা হয়। দশটিরও বেশি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ২৫টি বাড়িতে হামলা হয়েছিলো। এর আগে প্রচার করা হয়েছিলো যে একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে উত্তম বড়ুয়া নামে এক বৌদ্ধ তরুণের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, কোরান বা নবীকে অবমাননা করা হয়েছে। কিন্তু যেই তরুণের নাম প্রচার করা হয়েছে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি আর এবং এসব ঘটনায় কারও তেমন কোনো শাস্তির খবরও পাওয়া যায়নি। ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগরে আক্রান্ত হিন্দুরা ২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর। রামুর কায়দাতেই হামলাটি হয়, তবে এখানে আক্রান্ত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। অভিযোগও সেই পুরনো—ফেসবুকে ইসলাম বিদ্বেষী ছবি। এজন্য প্রচার করা হয় রসরাজ নামে এক হিন্দু ব্যক্তির নাম। অভিযোগ তোলা হয়েছিলো যে মুসলমানদের কাবা ঘরের সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শিবের একটি ছবি জুড়ে দিয়েছিলেন রসরাজ। এ ঘটনার জের ধরে তাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। তবে ঘটনা তাতে থেমে যায়নি। পরে ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে ও সেখান থেকেই হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়। প্রায় তিনশো বাড়ি ভাংচুর করা হয়। অথচ আড়াই মাস পর জেল থেকে বের হয়ে রসরাজ জানান তিনি ফেসবুক চালাতে পারেননা। এমনকি এর যে পাসওয়ার্ড বলে একটি বিষয় আছে তা নিয়ে তার কোনা ধারণাই নেই। নাসিরনগরে হামলার ঠিক এক বছরের মাথায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হামলা রংপুরেও নাসিরনগর মডেল নাসিরনগরে হামলার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১০ই নভেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়াতে ফেসবুক থেকে ছড়ানো গুজবের জের ধরে এক জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ সেই একই—হিন্দু তরুণের ফেসবুকে থেকে নবীকে অবমাননার অভিযোগ। পুলিশ তখন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, টিটু রায় নামে যে ব্যক্তির ফেসবুক পোষ্ট ঘিরে এই ঘটনা সেই টিটু রায়ের বাড়ি গঙ্গাচড়ায় হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। গঙ্গাচড়ায় কয়েকদিন মাইকিং করে হামলা হয়েছিলো হিন্দুদের বাড়িঘরে। পর টিটু রায়কে গ্রেফতারও করা হয়েছিলো। সিলেটের ওসমানীনগরেও সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস চলতি বছরের জুনে ইদের নামাজের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে সিলেটের ওসমানীনগরে। সনাতন ধর্মের এক নারীর মৃত্যুর পর সৎকার নিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের কয়েক ব্যক্তির মধ্যে মত বিরোধ হয়। পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে এমন কিছু পোস্ট দেয়া হয় যা নিয়ে মুসলিমদের একটি অংশ ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করে। এর জের ধরে কয়েকটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে নীলিমা দত্ত
ফেসবুকে ধর্ম বা নবীর অবমাননার গুজব তুলে বারবার সাম্প্রদায়িক হামলা, কৌশল একই
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন তাদের ভুল হয়েছিল তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে—এমন তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন তারা 'ভুল করেছেন'। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেসবুক প্রধান। কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল স্বীকারর করেছেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে 'গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ' করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিৃবতিতে মন্তব্য করেছেন । আরো পড়ুন: ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে আপনার ফেসবুক ডিলিট করার কি সময় এসেছে? ব্রিটেনে মুসলিম-বিরোধী গোষ্ঠী ব্রিটেন ফার্স্টের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো ফেসবুক বিভিন্ন এ্যাপ ভবিষ্যতে যাতে ফেসবুককে ব্যাবহার করে গ্রাহকদের তথ্য সহজে হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সামনের দিনগুলোতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনার অঙ্গিকারও করেছেন তিনি। ফেসবুকের সিঙও মি. জাকারবার্গ গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনার তথ্যের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু সেটি দিতে ব্যর্থ হলে আমাদের সেবা দেয়ার কোনও অধিকার থাকবে না।" জাকারবার্গ আরও বলেন, "আমি ফেসবুক শুরু করেছি এবং দিনশেষে এই প্ল্যাটফর্মে যা-ই ঘটুক না কেন দায়-দায়িত্বও আমার।" ক্যামব্রিজ এনালিটিকা ট্রাম্পের পক্ষে ডিজিটাল প্রচারণা চালানোর সুবিধার জন্য গ্রাহকদের তথ্য ফেসবুক থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয়, এই অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং গত মঙ্গলবার ক্যামব্রিজ এনালিটিকার প্রধান নির্বাহীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফেসবুক গ্রাহকদের তথ্য অপব্যবহার: ভুল স্বীকার করলেন মার্ক জাকারবার্গ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান সৌদি গেজেট পত্রিকা বলছে, এর আওতায় পার্মানেন্ট বা টেম্পোরারি রেসিডেন্সি ভিসা অর্থাৎ স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে বসবাসের করার ভিসা যারা পাবেন, তারা বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। 'প্রিভিলেজড ইকামা' নামে এই প্রকল্পটি সাধারণভাবে পরিচিত হয়ে উঠছে সৌদি গ্রিন কার্ড নামে। তিন বছর আগে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো সৌদি গ্রিন কার্ডের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি সৌদি আরব থেকে কেন ফিরে আসছেন নারী গৃহকর্মীরা? যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী আইনটি কার্যকর হলে দেশটির বর্তমান জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সৌদি আরবে এখন প্রবাসীদের এখন সাধারণত স্থানীয় একজন স্পন্সরের প্রয়োজন হয় এবং প্রবাসীরা সেখানে রেসিডেন্ট পারমিট পান না। 'গ্রিন কার্ড' আইনে কী থাকছে? প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী একজন বিদেশী নাগরিক নির্ধারিত ফি দিয়ে সৌদি আরবে বসবাস, কাজ, ব্যবসা ও নিজের সম্পদ তৈরি করতে পারবেন। একই সাথে প্রবাসীদের জন্য এখন যে স্থানীয় স্পন্সর দরকার হয়, এ আইনের আওতায় যারা স্থায়ী বা অস্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিট পাবেন, তাদের আর সেই ধরণের স্পন্সরের দরকার হবে না। আরব নিউজ পত্রিকা দেশটির সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দেশটির মন্ত্রিসভায় যাবে আইনের খসড়া। প্রবাসী বাংলাদেশীদের কি লাভ হবে? রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক বাংলাদেশী নামী-দামী শিক্ষক আছেন। দেশটিতে অনেক নামকরা চিকিৎসক এবং প্রকৌশলী বাংলাদেশী নাগরিক। ব্যবসা করেও অনেকে সুনাম কুড়িয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী। "এরা সবাই চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন, কারণ এটা করা হবে খুবই দক্ষ পেশাজীবী বা যাদের ভালো মূলধন তহবিল আছে অথবা যারা বড় ধরণের বিনিয়োগ করতে পারবেন"। মিস্টার ইসলাম আরও বলেন, নতুন প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চলমান যে ইকামা বা স্পন্সর নেয়ার পদ্ধতি আছে, তা থেকে ভিন্ন - তাই এটিকে বলা হচ্ছে প্রিভিলেজড ইকামা। "অর্থাৎ হাই স্কিলড ব্যক্তিরা চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন। আর তাদের জন্য স্থানীয় স্পন্সর দরকার হবে না"। তাঁর মতে, সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশী আছেন, যারা ব্যবসা করে সুনাম কুড়িয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। সৌদি গ্রিন কার্ড পদ্ধতি চালু হলে এবং তাঁরা চাইলে গ্রীন কার্ড সুবিধা নিয়ে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। মিস্টার ইসলাম অবশ্য জানিয়েছেন যে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা আইনটিতে অনুমোদন দেয়ার মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে।
'সৌদি গ্রিন কার্ড': কারা পাবেন, কী দক্ষতা লাগবে, কতটুকু লাভ হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাঘুজে একজন আইএস যোদ্ধার স্ত্রী- সন্তান মার্কিন-সমর্থিত মিলিশিয়ারা এখন আইএসের দখলে থাকা পূর্ব সিরিয়ার ক্ষুদ্র দুটি এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, আইএস গোষ্ঠীর দখলে থাকা এলাকার পরিমাণ এখন মাত্র ২০ বর্গমাইলের মতো হবে। এই এলাকাটি থেকে এখন নারী-পুরুষ ও শিশুদের পালানোর খবর আসছে, এবং তাদের অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এবং অন্য অনেকে খাদ্যবিহীন অবস্থাতেই পালিয়ে যাচ্ছে। তারা মার্কিন সমর্থিত কুর্দিপ্রধান সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য বাঘুজ নামে একটি গ্রামে এসে পৌঁছাচ্ছে। আহত একজন আইএস যোদ্ধাকে নিয়ে আসা হচ্ছে গত দু'সপ্তাহে মরুভূমি এলাকা থেকে যারা আত্মসমর্পণ করতে আসছে তারা প্রধানত আইএস জঙ্গীদের স্ত্রী ও সন্তানরা। তাদের পরিচয় যাচাই করে উত্তর সিরিয়ায় বন্দীশিবিরে পাঠিয়ে দিচ্ছে এসডিএফ। এদের মধ্যে ইউরোপীয় নারীও রয়েছে। এর মধ্যে দু'জন হলেন সাবিনা (বয়েস ৩৪) এবং লিওনোরা (বয়েস ১৯) । এরা হচ্ছেন জার্মান জিহাদি মার্টিন লেমকের তিন স্ত্রীর মধ্যে দু'জন। তারা জানালেন, তাদের জিহাদি স্বামী পালিয়ে গেছেন এবং এবং এসডিএফের হাতে ধরা পড়েছেন। আইএস দখলে থাকা শেষ এলাকা দুটি মুক্ত করতে মার্কিনসমর্থিত বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর দখলে থাকা এলাকাগুলো আগামি সপ্তাহের মধ্যেই '১০০ ভাগ' মুক্ত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ''আগামী সপ্তাহেই এ ঘোষণা আসা উচিত'' তবে তিনি সরকারি ভাষ্য আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। আইএসএর যারা আত্মসমর্পণ করার জন্য বাঘুজ আসছে - তাদের অনেকেই এগিয়ে আসতে থাকা বাহিনীগুলোর গোলাবর্ষণে আহত হয়েছে। বাঘুজে আগত আইএস যোদ্ধাদের পরিবার পালাতে থাকা আইএস যোদ্ধাদের মধ্যে সিরিয়ান, ইরাকি এবং ইউরোপ ও অন্য নানা দেশ থেকে আসা বিদেশীরাও রয়েছে। এদের কাউকে কাউকে বন্দী শিবিরে এবং অন্যদের কারাগারে নেয়া হয়েছে। জার্মান জিহাদি মার্টিন লেমকের তিন স্ত্রীর মধ্যে দু'জন নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করছে যে আইএসের সাথে এখন এসডিএফ কমান্ডারদের একটা দরকষাকষি চলছে - যাতে জঙ্গীরা উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে চলে যাবার একটা নিরাপদ পথ পেয়ে যায়, কারণ ওই এলাকাটি সিরিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এর বিনিময়ে আইএস তাদের হাতে বন্দী থাকা এসডিএফ সদস্যদের মুক্তি দিতে পারে। ইসলামিক স্টেট কি আসলেই সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছে? ইসলামিক স্টেট তাদের কথিত খিলাফতের ৯৯ শতাংশ এলাকাই হারিয়েছে। একসময় ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা তাদের দখলে ছিল। আত্মসমর্পণ করতে আসাদের মধ্যে নারী ও শিশুরা রয়েছে। তবে মার্কিন গোয়েন্দা এবং সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমের চাপ অব্যাহত রাখা না হলে আইএসের আবার পুনরুত্থান ঘটতে পারে। মি. ট্রাম্প কিছুদিন আগে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বিস্মিত করেছিলেন। তবে আমেরিকার বিদেশী মিত্ররা থেকে শুরু করে রিপাবলিকান পার্টি এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সমালোচনার পর তিনি সেই প্রক্রিয়া ''বিলম্বিত'' করেন। কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাম্পের ঘোষণার পর পদত্যাগও করেছিলেন। আইএসের একটি পরিত্যক্ত ঘাঁটিতে এসডিএফ যোদ্ধারা কয়েকদিন আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ডের প্রধান জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেন, ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে মাত্র ২০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে প্রায় ১,৫০০ আইএস জঙ্গী অবস্থান করছে। তবে তিনি সিনেটের এক কমিটিকে বলেন, আইএস গোষ্ঠীটির নেতারা এখনো আছে - আছে যোদ্ধা, সহযোগী, সম্পদ এবং তাদের মতাদর্শ, যা তাদের কর্মকান্ডে ইন্ধন যোগায় । মার্কিন একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান তাদের রিপোর্টে বলেছে, আইএসের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে না পারলে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সিরিয়ায় তাদের পুনরুত্থান ঘটতে পারে। বিবিসি বাংলায়র আরো পড়ুন: সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে খেলাফতের পর আইএসের ভবিষ্যৎ কী নিহত আইএস যোদ্ধাদের সন্তানরা কোথায় যাবে? ছবিতে মসুলের আইএস যোদ্ধাদের অজানা জীবন
ইরাক ও সিরিয়ায় শেষ ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে আইএস যোদ্ধা ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের বিবাদ দীর্ঘ দিনের শনিবার ৫ই সেপ্টেম্বর অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একজন রাজনীতিক ও ভারতীয় লোকসভার সদস্য প্রথম এই অভিযোগ আনেন এক টুইট বার্তায়। এই রাজনীতিক তাপির গাও অভিযোগ করেন যে তেসরা সেপ্টেম্বর সীমান্তের কাছে চীনা সৈন্যরা স্থানীয় পাঁচজন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশের একজন কংগ্রেস নেতা নিনং এরিং-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে স্থানীয় ওই যুবকরা সেনাবাহিনীর মালামাল বহন করার কাজ করত বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার পর ভারতের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু বলেছেন ভারতীয় সেনা বাহিনী চীনা সেনা বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে "হটলাইন মেসেজ'' পাঠিয়ে এর উত্তর চেয়েছে। চীনের কাছ থেকে তারা উত্তরের অপেক্ষা করছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। স্থানীয় খবরে বলা হচ্ছে এই পাঁচজন শিকারের উদ্দেশ্যে প্রত্যন্ত একটি পাহাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন যেখানে সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়নি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান আরও বলেছেন অরুণাচল প্রদেশকে চীন নিজেদের অংশ বলেই মনে করে। তিনি বলেছেন ''অরুণাচল চীনের দক্ষিণ তিব্বত অঞ্চলের অংশ''। চীন এখনও ভারতের ''হটলাইন বার্তার'' উত্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও এই অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবার বাড়ছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অগাস্ট মাসে সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা বাড়াতে চীন দু দুবার প্ররোচনা জুগিয়েছিল বলে ভারত অভিযোগ করেছিল। চীন দুবারই ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৫ই সেপ্টেম্বর মস্কোর এক বৈঠকে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে এই অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই বৈঠক অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের পথ তৈরি করা এবং দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলার প্রস্তুতি নেয়া। কিন্তু এই অপহরণের অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে আবার নতুন করে বাক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। চীন বলেছে সীমান্ত নিয়ে অচলাবস্থার জন্য "পুরোপুরি" ভারত দায়ী, এবং চীন "তাদের ভূখন্ডের এক ইঞ্চিও" জায়গা ছেড়ে দেবে না। ভারত অভিযোগ করে চীন "সীমান্ত এলাকায় বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করছে, আগ্রাসী আচরণ করছে এবং একতরফা ভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করে প্ররোচনা সৃষ্টি করছে"। লাদাখ সীমান্তে ১৫ই জুন রাতে চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের চারজন প্রভাবশালী মন্ত্রী অর্থাৎ দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা ৫ই সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত মুখোমুখি হয়েছিলেন মস্কোতে। লাদাখ সীমান্ত অভিমুখে চলেছে ভারতের সামরিক কনভয়। ১৯ জুন, ২০২০ যদিও দুই বৈরি দেশের মধ্যে জুনের পর নতুন করে কোন সংঘাত হয়নি, কিন্তু সীমান্তে এরপরও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে এবং বিশ্লেষকরা বলছেন সীমান্তের পরিস্থিতি জুনের পর থেকে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। জুন মাসে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে বিশ জন ভারতীয় সৈন্য মারা যায়। চীনা পক্ষেও হতাহতের খবর দেয়া হয়েছে অসমর্থিত সূত্রে। তবে চীন কোন হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি। দুই দেশই নিয়মিত ভাবে লাদাখ অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে। দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার কারণে সেখানে সীমানা খুব নির্দিষ্টভাবে চিহ্ণিত না থাকায় দু্ পক্ষই পরস্পরের সীমানা লংঘনের অভিযোগ আনায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রায় নিয়মিতই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: চীন-ভারত সঙ্কট: মস্কোতেই কি সমাধানের সূচনা হতে পারে লাদাখে চীনের সৈন্যরা আবারও সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে: ভারত ভারত ও চীনের সেনা প্রত্যাহার কতটা ফলপ্রসূ হবে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েক দফা কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে বৈঠক হলেও পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশি দেশ ভারত ও চীন তাদের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের সীমান্ত বিবাদ মেটাতে কখনই সফল হয়নি। ভারত সীমান্তে বাড়তি সৈন্য পাঠিয়েছে জুন মাসের ঘটনা জুন মাসে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল দুই দেশের সেনা বাহিনী প্রায় ১৪ হাজার ফুট উঁচু দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং লড়াইয়ের সময় কিছু ভারতীয় সৈন্য খরস্রোতা গালওয়ান নদীতে পড়ে যায়। গালওয়ানের তাপাঙ্ক ছিল শূণ্যের নিচে। খবরে বলা হয় বিশজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়া ছাড়াও অন্তত ৭৬ জন সৈন্য আহত হয়েছে। চীনের দিকে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল কিনা সে বিষয়ে কোন তথ্য চীন প্রকাশ করেনি। ওই বিতর্কিত অঞ্চলে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার কারণে জুনের ওই সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। গালওয়ানে যেখানে সংঘর্ষ হয়েছিল বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: চীন-ভারত সংঘর্ষে পেরেক যুক্ত রড ব্যবহার করা হয়েছে? 'ভারত-চীনের সীমান্ত পুরোটাই মায়া, এলএসি আছে অন্তত চারটে' গালওয়ান উপত্যকার পর্বতচূড়ায় ঠান্ডা ও বৈরি এক যুদ্ধক্ষেত্র বিতর্কিত সীমান্তের কাছে 'চীনের নতুন স্থাপনা' নির্মাণ? সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ যে কারণে চীন-ভারত সীমান্তে অবস্থিত বিতর্কিত গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি বলে আসলে সেভাবে কিছু নেই। এই নিয়ন্ত্রণ রেখা ওই এলাকার দুর্গম ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কখনই ভালভাবে চিহ্ণিত করা হয়নি। সেখানে নদী, ও হ্রদ থাকায় এবং বরফ-আবৃত এলাকা থাকার ফলে কোন সীমানা রেখা স্থায়ী হবে এমনটাও নয়। এসব কারণে সীমারেখা সরে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। ফলে বিভিন্ন সময়ে দুপক্ষের সেনারা বিতর্কিত এই সীমানার বহু জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ভারত অভিযোগ করে চীন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এবং ওই এলাকার ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চীন দখল করে আছে। গত তিন দশক ধরে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেও এই বিতর্ক সমাধানে দুই দেশ ব্যর্থ হয়েছে। ভারত ও চীনের মধ্যে ১৯৬২ সালে একটা যুদ্ধও হয়ে গেছে যে যুদ্ধে বিপর্যয়কর ভাবে পরাজিত হয় ভারত। ভারত চীনের সাথে বিতর্কিত এই সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ তরান্বিত করেছে সম্প্রতি আবার উত্তেজনা বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তবে এই উত্তেজনা বৃদ্ধির মূলে রয়েছে দুই দেশের পরস্পরবিরোধী কৌশলগত লক্ষ্য এবং দুদেশের পরস্পরকে দোষারোপের দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। লাদাখের বিতর্কিত এই সীমান্ত এলাকা, যেটি খুবই প্রত্যন্ত এবং খুবই উত্তেজনাপ্রবণ, সেখানে ভারত দ্রুত যেভাবে নতুন সড়ক নির্মাণ করেছে, বিশ্লেষকরা বলছেন তা কোনরকম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারতকে দ্রুত সৈন্য ও রসদ সরবরাহে বাড়তি সুবিধা দেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতের অবকাঠামো এভাবে আরও শক্তিশালী করার বিষয়টি বেইজিংকে আরও রুষ্ট করেছে বলেই তারা মনে করছেন। তারা বলছেন চীন এটাকে ভারতের দিক থেকে প্ররোচনামূলক বলে দেখছেন।
চীন ভারত দ্বন্দ্ব: চীনের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক অপহরণের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি মিছিল হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামে সংগঠনটির নেতারা একই সাথে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের মনোনয়ন না দেয়ার জন্যও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবার মাত্র তিন মাস বাকি । হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ আজ ঢাকায় এক সমাবেশ করে এসব দাবি তুলে ধরে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগঠনটির প্রতিনিধিরা তাদের দাবি সম্বলিত ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে যোগ দেন ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সমাবেশে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হয়। বিবিসি বাংলাকে তাদের একজন বলছিলেন, "অর্পিত সম্পত্তি আইন-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অতীতে যে নির্যাতন হয়েছে, এর একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। এর সাথে যে এমপিরা জড়িত, আমরা দাবি জানাচ্ছি মানীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, - ঐ এমপিদের যেনো মনোনয়ন দেয়া না হয়।" খুলনা থেকে আসা একজন নারী বলছিলেন, "হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান আমরা সবাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছি। কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন হয় না।" এই সংগঠনটি এবার নির্বাচনের আগে তাদের অবস্থানের একটা বার্তা তুলে ধরতে চাইছে বলে মনে হয়েছে। সংগঠনটির নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, "রাজনীতিকদের জন্যে নির্বাচনটা হচ্ছে উৎসব। কিন্তু আমরা সংখ্যালঘুদের কাছে নির্বাচন মানেই হচ্ছে শঙ্কা আর বিপর্যয়।" ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় একটি মানববন্ধন "৯০ এর পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, এটা স্থানীয় হোক আর জাতীয় নির্বাচন হোক, যেখানে দেখা যায়, নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সাম্প্রদায়িক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে। এবং সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে তাদের অব্যাহত আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছে। এটাই আমাদের মূল উদ্বেগের বিষয়।" সেই প্রেক্ষাপটে এবার তাদের একটা বড় দাবি সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের যেনো দলগুলো মনোনয়ন না দেয়। সমাবেশে অংশ নেয়া প্রিয়া সাহা বলছিলেন, এবার চিহ্নিত নির্যাতনকারী মনোনয়ন পেলে তারা সেই প্রার্থীকে বর্জন করার মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারেন। "আমাদের যে ১২ পার্সেন্ট ভোট বাংলাদেশে রয়েছে, সে অনুযায়ী আমাদের আনুপাতিকহারে যে প্রতিনিধিত্ব, সেটা কখনই নিশ্চিত হয় না। সেটা একেক সংসদে চারজন নির্বাচিত ছিল। এবার আছে সর্বাধিক। কিন্তু যারা আসলে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে,সেই দক্ষ, যোগ্য লোকগুলোকে নমিনেশন দেয়া হয় না।" সমাবেশে আসা কেন্দ্রীয় এবং মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তাদের দাবি বা উদ্বেগের বিষয় তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে টার্গেট করেই তুলে ধরছেন। তাদের সমর্থন এবং কর্মকান্ড আওয়ামী লীগের পক্ষে যায়, সেটা তারাও মনে করেন। বগুড়া থেকে আসা বীরেন দাস বলছিলেন, "আমরা আমাদের কাছাকাছি, ধর্মনিরপেক্ষ, এবং মুক্তিযুদ্ধের চার স্তম্ভ যারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, তাদের আমরা ভোট দেবো।" তবে রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, তাদের বিশেষ কোনো দলের ভোট ব্যাংক ভাবা ঠিক নয়। কিন্তু তাদের বিকল্প কোনো অসাম্প্রদায়িক শক্তি না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সমর্থন যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। "বাংলাদেশে দ্বিদলীয় রাজনীতির মধ্যে সংখ্যালঘুদের কাছে কোনো বিকল্প থাকে না। কারণ একদল তারা যে জাতীয়তাবাদের রাজনীতির কথা বলে, সেটা হচ্ছে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ - যাকে ৭১ সালে জাতি প্রত্যাখান করেছে। আরেকটা হলো বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। এই সংখ্যালঘুরা কিন্তু বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের মধ্যে এক ধরণের সেক্যুলার এপ্রোচ খুঁজে পায়। আর বিকল্প কিছু নেই বলে এই পরিস্থিতিটা হয়েছে।" সংগঠনটির নেতারা আরও বলেছেন, এবার আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু জমি দখল করে বেশ কয়েকটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত কেউ যাতে মনোনয়ন না পায়, তা নিয়ে তারা মূলত আওয়ামী লীগের উপরই চাপ তৈরি করবেন।
'সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের মনোনয়ন দেবেন না', বলছেন সংখ্যালঘুদের সংগঠনের নেতারা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ফেসবুক আইডি বাঁচাতে অনেকে দেয়া স্ট্যাটাসে বন্ধুরা মন্তব্য করেছেন, কিন্তু তা কি সত্যিই আইডি বাঁচাতে পারে? যারা সেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাদের তালিকায় থাকা বন্ধুরা অসংখ্য মন্তব্য করে, স্ট্যাটাস দিয়ে সেই ফেসবুক আইডি রক্ষার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু বাস্তবে এরকম মন্তব্য কতটা কাজে আসে? সত্যিই কি এসব স্টিকারের মাধ্যমে করা মন্তব্য ফেসবুক আইডি বাঁচাতে পারে? বিবিসি বাংলার এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে, যিনি লিখেছেন , আজকে আইডিতে রিপোর্ট পড়ছে ৫৬টা:/ প্লিজ ১০০০ কমেন্ট দরকার :/ :( । তার এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট পড়েছে এগারোশোর বেশি। তিনি বলছেন, ''এখনকার একটি ট্রেন্ড হচ্ছে, যারা একটি চেতনা বা ভাবনাচিন্তার পক্ষের লোক, তার অন্য পক্ষকে টার্গেট করে ফেসবুকে রিপোর্ট করে। অনেক সময় স্বার্থ জড়িত কারণেও এটা ঘটে। তখন ফেসবুক থেকে নোটিশ আসে, লগইন করা সম্ভব হয়না। কিন্তু এভাবে কমেন্টের মাধ্যমে যদি অনেক মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়, তখন হয়তো সেটি আইডির পরিচিতর জন্য ভালো হয়।'' তিনি বলছেন, এই চিন্তা করেই তিনি ওই স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। একহাজার মন্তব্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাবতে পারেনি যে সেটি বারোশো ছাড়িয়ে যাবে। আরো খবর: বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারে ভয় কেন? ফেসবুক, অনলাইনে কেনাকাটার তথ্য- ব্যক্তিগত সবই কি জেনে যাচ্ছে বিক্রেতারা? নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক ক্রিকেটার সাকিব আইসক্রিম কিনতে যাবেন কিভাবে? ফেসবুক ঘেঁটে এরকম আরো অনেকের স্ট্যাটাস দেখা গেছে। সেসব স্ট্যাটাসে যেমন কেউ নানা ধরণের মন্তব্য লিখেছেন, আবার কেউ শুধুমাত্র ইমোজি পোস্ট করেছেন। আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী রায়ান কামাল নিজের ছবির সঙ্গে লিখেছেন, 'আইডিতে রিপোর্ট হচ্ছে, কমেন্টে রেস্পন্স' করুন। সঙ্গে চিন্তার ইমোজি। বরগুনার একজন তরুণী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'আইডি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, স্টিকার কমেন্ট প্লিজ'। সেখানে স্টিকার দিয়ে তার অসংখ্য বন্ধু-স্বজন কমেন্ট করেছেন, যার সংখ্যা কয়েকশো ছাড়িয়ে গেছে। একহাজার মন্তব্য চেয়ে করা ফেসবুক স্ট্যাটাসে বারোশোর বেশি মন্তব্য পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম নাম প্রকাশে অনাগ্রহী এই তরুণী বলছেন, কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুক থেকে নোটিশ পান যে, তার আইডিতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে। এরপর তার একজন বন্ধুর পরামর্শে তিনি ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি লেখেন, যাতে কোন কারণে আইডি হারিয়ে গেলেও সেটি পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে তার আশা। কিন্তু এরকম মন্তব্যে আদৌ কি কোন কাজ হয়? এ ধরণের মন্তব্যের মাধ্যমে ফেসবুকে সংযোগ বাড়তে পারে, তবে আইডি রক্ষা বা নিরাপত্তার সঙ্গে এর কোন সম্পর্কে নেই বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে ফেসবুক নিয়ে কাজ করে ইউল্যাবের একটি টিম 'ফ্যাক্ট ওয়াচ'। এর উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমন রহমান বলছেন, ''আমরাও খেয়াল করেছি যে, কিছুদিন পরে পরে এরকম স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনা ঘটছে। যারা এসব লিখছেন, তারা খুব ফেসবুক সেলিব্রেটিও নন। কিন্তু আইডি হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে বা আইডির ঝুঁকি বাঁচাতে যেসব লেখা হচ্ছে, তার সঙ্গে ফেসবুকের কাজের আসলে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ ফেসবুক এভাবে কাজ করে না।'' তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, '' কেউ যদি কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চায়, তাহলে সেটার সঙ্গে এভাবে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করা না করার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তিনি নানা কৌশলে সেই চেষ্টা করবে। আবার ফেসবুকে রিপোর্ট করার কারণে কারো আইডি যদি ফেসবুক ব্লক করে দিতে চায়, সেজন্য নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠাবে, তারপর ব্যবস্থা নেবে। সেটা ফিরিয়ে আনারও নানা পদ্ধতি আছে। সুতরাং কমেন্ট করে সেক্ষেত্রে প্রভাবিত করার কোন ব্যাপার নেই। '' ফেসবুকে নিজের ছবির সঙ্গে মন্তব্য চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রায়ান কামাল সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন বা নিজের প্রোফাইলে লাইক/কমেন্ট বাড়াতে অনেকে এ ধরণের কাজ করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ যারা এ ধরণের স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তারা কেউই ফেসবুকে খুব পরিচিত নন। ফেসবুক কি বলছে? এ বিষয়টি জানতে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, এই লেখা পর্যন্ত সংস্থাটি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখতে ফেসবুকের পাতায় বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে। তার মধ্যে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে বলা হয়। এর মাধ্যমে ফেসবুকে প্রবেশ করতে হলে দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে যেমন প্রচলিত পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তেমনি মোবাইলের মেসেজে আসা কোড বা অথেনটিকেটর থেকে পাওয়া কোড প্রবেশ করিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ফেসবুক। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বুধবার আবারো সংলাপে বসছে সরকার ব্লাসফেমির জন্য পাকিস্তান ছাড়তে হলো যাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? যৌন আসক্তি বলে কি সত্যিই কিছু আছে?
ফেসবুক স্ট্যাটাস: পিকচার বা স্টিকার কমেন্ট আইডি বাঁচাতে পারে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সিলেটে অভিষেক টেস্টে দু'বার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বিবিসি'কে বলেন দুই দফায় মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনাটিকে তারাও গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন। মি. নাদেল বলেন, "মাঠের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের অসতর্ক মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে দু'জন অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে এসেছে।" মি. নাদেল জানান দুই ক্ষেত্রেই গ্যালারির সামনে থাকা ৭ ফুট উচ্চতার লোহার বেড়া টপকে মাঠে প্রবেশ করে দর্শকরা। এই বিষয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি ভেন্যু কর্তৃপক্ষকে মেইল করেছে বলে জানান মি. নাদেল। "এ বিষয়ে আইসিসি'র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে।" আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ এবং তারপর অনুষ্ঠিতব্য বিপিএল টুর্নামেন্টে যেন এধরণের কোনো ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেন মি. নাদেল। কিন্তু স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢুকে পড়ার দায় কি শুধুই ক্রিকেট বোর্ডের? বিবিসি'র ফেসবুক পেইজে খেলা চলাকালীন সময়ে মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনার বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিবিসি'র ফেসবুক পেইজে মো. সাইদ হাসান মন্তব্য করেন, "শুধু নিরাপত্তার দোহাই দিলে চলবে না, দর্শন সচেতনতার অভাব রয়েছে, আবেগ প্রবণ হয়ে এমন কিছু করা যাবে না যা করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে মি-টু? মডেল প্রিয়তির অভিযোগে ফেসবুকে আলোড়ন প্রথম দেখায় প্রেম, সেদিন থেকেই শুরু নতুন ব্যবসা মোবাইল টাওয়ার কতটা বিপজ্জনক মানুষের জন্য? সিলেট টেস্টের প্রথম তিনদিনে দু'বার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন, "নিজেকে টিভির পর্দায় আবিষ্কার করা, আর সারাদেশের মানুষ এর কাছে পরিচিত হবার নতুন কৌশল এটি।" কয়েকজনের মতে এই দায় দর্শদের ওপরও বর্তায়। দর্শকদের অসচেতনতা ও অতিরিক্ত আবেগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনাম। অধিকাংশই অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনার ত্রুটিকে এধরণের ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে মনে করেন। এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের বড় ধরণের শাস্তি না হওয়াকেও কারণ মনে করছেন অনেকে। মুহাম্মদ আলম লিখেছেন, "ম্যাচ চলাকালীন মূল মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা দু'বার ঘটলো। অবশ্যই নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। বড় ধরনের শাস্তি না হওয়ায় এরকম ঘটনা বারবার হচ্ছে।" অভিযোগের তীর খেলোয়াড়দের দিকেও বারবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দায় খেলোয়াড়রাও এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। আসাদুজ্জামান আসাদ লিখেছেন, "আমি মনে করি খেলোয়ারদের এত আবেগ দেখানোটাও একটা কারণ। খেলোয়াড়দের উচিত সিকিউরিটির ব্যাপারে আরো বেশি কঠোর হওয়া।" তবে ক্রমাগত এধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে সম্ভাব্য সবচেয়ে দু:খজনক পরিণতি কী হতে পারে, সেটি উঠে এসেছে মিফতাহুল জান্নাতের মন্তব্যে। মিজ. জান্নাত লিখেছেন, "এটা মুশির প্রতি ভক্তের অব্যক্ত ভালোবাসা। তবে হ্যাঁ, নিরাপত্তা আরো জোরালো হওয়া উচিত...পরে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেউ এদেশে খেলতে আসবেনা.. নয়তো পাকিস্তানের মত অবস্থা হবে। মাঠ ভাড়া করে খেলতে হবে।"
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সিরিজ: মাঠের ভেতরে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনার দায় বোর্ডের?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রায়শই তোলা হয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয় যে বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষেণের লক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত একটি শক্ত অবস্থান নেয়া। এই মানবাধিকার সংগঠনগুলো হলো, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলানটারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার। নিউইয়র্ক থেকে আজ পাঠানো ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবেলা করছে, তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে সমালোচক এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের উপর কঠোর চাপ প্রয়োগ করছে, যা কর্তৃত্ববাদী শাসনকে আরও দৃঢ় করছে। আন্তর্জাতিক এসব মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে সরকার অতীতে এ ধরণের সমালোচনা নাকচ করেছে এবং ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয় যে বাংলাদেশে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। সাতটি মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয় যে সরকার ক্রমাগতভাবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-সহ নানা ধরণের কঠোর আইনকানুন ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোরপূর্বক গুম, বিচারহীন খুন এবং হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের মতো অপরাধ করে থাকে বলে বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‍্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে দ্বি-দলীয় চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এসব মানবাধিকার সংগঠন। বিবৃতিতে বলা হয়, এই বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি রয়েছে, তা রোধ করতে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে এবং এটি ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে সহায়তা করবে। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইইউ-সহ অন্যান্য দেশগুলোকেও এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের বিশাল বৈষম্য এবং দুর্নীতি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সামনে এসেছে। রাজনৈতিকভাবে এলিট বা ক্ষমতাশালীদের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কর্মীদের চাপের মুখে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ যাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সরকারের দ্বৈত-নীতি কিংবা সরকার যেভাবে সংকট মোকাবেলা করছে, তার সমালোচনাকারীদের আটক ও গ্রেফতারে ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে। ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে মুক্তি দিতে এর আগে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আহবান জানিয়েছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কারাগারে কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি কমাতে কম ঝুঁকিপূর্ণ ও বিচারের অপেক্ষায় থাকা কয়েদীদের মুক্তি দিতে জাতিসংঘের আহ্বান এড়িয়ে সাংবাদিক আবুল আসাদ, রুহুল আমিন গাজী এবং শফিকুল ইসলাম কাজল, কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে এখনো আটকে রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সুশীল সমাজ, দাতা সংস্থা এবং জাতিসংঘের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে কোন ধরনের পূর্ব কারিগরি এবং সুরক্ষা মূল্যায়ন ছাড়াই ভাসান চরের মতো দ্বীপে স্থানান্তর করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে যে, এদের মধ্যে অন্তত কিছু মানুষকে জোর পূর্বক এবং আগে থেকে জানিয়ে মতামত নেয়া ছাড়াই স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার বার বারই এটা প্রমাণ করেছে যে তারা মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ নয়। সংস্থাগুলো বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করা উচিত। বিবিসি বাংলার আরও খবর পড়ুন: ফ্রান্সে ইসলামি চরমপন্থাকে টার্গেট করে মন্ত্রীসভায় আইন পাস যে তিনটি বিষয় নিয়ে সঙ্কটে রয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান চ্যাঙই-৫ চন্দ্র অভিযানের যে নারীকে নিয়ে চীনে মাতামাতি
বাংলাদেশে 'কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ান', আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সাতটি মানবাধিকার সংগঠনের আহবান
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহে বাঁধ ভেঙে গেছে। (ফাইল ছবি) উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি উপত্যকা দিয়ে বাঁধ ভেঙে ব্যাপক হারে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই ওই এলাকার দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য দুর্গত অঞ্চলে দেশটির সেনা, আধাসামরিক বাহিনীর কয়েকশ সদস্য ও সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাটি তদন্ত করছেন যদিও এটি হিমবাহ ধসের কারণে হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে যে এ পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে তিনি উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "প্রতিনিয়ত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি এবং উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যাপারে আপডেট নিয়ে যাচ্ছি।" "ভারতবাসী উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে এবং সেখানকার সবার সুরক্ষার জন্য তারা প্রার্থনা করছে।" বিশ্বজুড়ে নেতারাও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, "আমরা ভারতের জনগণ এবং উত্তরাখণ্ডের উদ্ধারকর্মীদের সাথে রয়েছি, যারা হিমবাহ ধসের ফলে ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে।" "ভারতের প্রতি যুক্তরাজ্য সংহতি জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।" আরও পড়তে পারেন: উত্তরের পাঁচটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ভারতে হিমবাহ ধসে ভেসে গেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা বরফ জমিয়ে হিমালয়ের জল সঙ্কট মোকবেলা সম্ভব? পাহাড়ি ভূমিধ্বস। উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটে এবং ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নামে বাঁধটি ভেসে যায়। প্রবল পানির তোড়ে তপোবন অঞ্চলের ধৌলি গঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা আরেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী এই ভয়াবহ বন্যাকে বলিউড সিনেমার দৃশ্যের সাথে তুলনা করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে যে বন্যার পানিতে ওই অঞ্চল পুরো তলিয়ে গেছে। যেদিকে বন্যার পানি যাচ্ছে সব ধ্বংস করে ফেলছে। জরুরি কর্মীরা এর আগে বহু গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ পরে জানায় যে বন্যার মূল বিপদটি কেটে গেছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের নীচে সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকা পড়া ১৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, প্রায় ৩০ জন মানুষ একটি সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছে এবং জরুরি উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধারের জন্য রাত জেগে কাজ করছিল। উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম হিমালয়ের কয়েকটি এলাকা বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়েক দশকের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ২০১৩ সালের জুনে অন্তত ৬০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবারের এই বিপর্যয়ের পরে পরিবেশবাদীরা এমন একটি সংবেদনশীল পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ কতোটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা পর্যালোচনার আহ্বান জানায়। "পাহাড়ি এলাকার নদী অববাহিকায় এ ধরণের হিমবাহ ধস সাধারণ ঘটনা" উত্তরাখণ্ড স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পরিচালক এম.পি.এস. বিশত সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ কথা বলেন। "এই অঞ্চলে বিশাল ভূমিধসের ঘটনাও প্রায়শই ঘটে থাকে" সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী বলেছেন যে, তিনি এর আগে সরকার থাকাকালীন গঙ্গা ও তার শাখা নদীতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
উত্তরাখণ্ড: হিমবাহ ধসে বাঁধ ভেসে যাওয়ার পর ১৪ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
অনিরাপদ সড়কে যাত্রীদের ক্ষোভের শিকার এই বাস। তারা বলছেন, রাজনীতি এবং চাঁদাবাজির কারণে সরকারের এই ধরনের উদ্যোগ অতীতে ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে থেকেই নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই খাতে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার না থাকা এবং চুক্তি ভিত্তিতে ড্রাইভারের হাতে বাস ছেড়ে দেয়ার জন্যই সড়কে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে বলে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। সম্প্রতি ঢাকায় বাসচাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর রাজধানী জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের পটভূমিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এক বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব ছাড়াও সড়ক পরিবহন, বিআরটিএ, বিআরটিসি এবং পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠক থেকে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এই বিষয় নিয়ে বিবিসির সাথে আলাপকালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অতীতে এধরনের সাময়িক ব্যবস্থার কথা বলে সড়ক নিরাপত্তার ওপর বৈধ আন্দোলন থামিয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকার যাত্রীদের প্রতিদিনই এই ধরনের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে বাসে উঠতে হয়। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের জন্য কি অর্থ বহন করে এনআরসি ইস্যু? ঢাবিতে 'টাকলু' বলে বহিষ্কার: কী ছিল সেই 'অসদাচারণ' অনলাইনে নতুন আতঙ্ক 'মমো' "সরকার কঠোর হতে চাইলেও, বাস-ট্রাকের মালিক ও শ্রমিকরা এ নিয়ে হরতাল শুরু করেন। ভাঙচুর করেন। ফলে সরকার ভয় পেয়ে যায়," তিনি বলেন, "সরকারের ভেতরে থাকা পৃষ্ঠপোষকদের জন্যই বাস মালিক এবং ড্রাইভাররা আজ এতটা বেপরোয়া আচরণ করছে।" ওদিকে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মধ্যে পরিবহন মালিকরা সড়ক থেকে বাস উঠিয়ে নেন। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম হেনস্থার মধ্যে পড়েন। সরকারি হিসেব মতে, সারা দেশে ৩২ লক্ষ গাড়ির সরকারি নিবন্ধন রয়েছে। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে ২৫ লক্ষের। অর্থাৎ বিশাল সংখ্যক ড্রাইভার কোন অনুমতি ছাড়াই গাড়ি নিয়ে পথে নামছেন। এই ব্যবধানের কারণ ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহাবুব-ই-রব্বানী বলছেন, বাস-ট্রাকের মতো ভারী গাড়ির লাইসেন্স নিতে মোট ছয় বছর সময় লাগে। ড্রাইভারদের প্রথমে হালকা গাড়ির লাইসেন্স নিতে হয়, তার তিন বছর পর মাঝারি গাড়ির লাইসেন্স নিতে হয়। ভারী গাড়ির লাইসেন্সের জন্য আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। ঢাকা শহরের অনেক রাস্তাই এখন পুরোপুরিভাবে বাসের দখলে। এরপর যে ড্রাইভার বাস চালাতে চান তাকে পাবলিক সার্ভিস ভেহিকেল অথোরাইজেশন বা পিএসভি নামে ভিন্ন আরেকটি লাইসেন্স নিতে হয়ে। "অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ড্রাইভাররা এতটা সময় অপেক্ষা করতে চান না। তারা হালকা বা মাঝারি গাড়ির লাইসেন্স ব্যবহার করেই বাস চালান," শেখ মো. মাহবুব-ই-রব্বানী বিবিসিকে বলেন। আর মালিকরাও তাদের মুনাফার স্বার্থে এটা মেনে নেন। দক্ষ ড্রাইভার না থাকার কারণেই বাসের হেলপাররাও এক সময় ড্রাইভিং সিটে বসার সাহস দেখায় বলে তিনি জানান। পরিবহন মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি এই খাতের একটি বড় সমস্যা বলেও সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনকারী উল্লেখ করেন। মালিকরা প্রায়শই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের বাসকে ড্রাইভারের হাতে তুলে দেন। সমস্যার কথা স্বীকার করলেন বিআরটিএ পরিচালক শেখ মো. মাহাবুব-ই-রব্বানী। "এই ধরনের কন্ট্রাক্ট থাকায় বাস ড্রাইভার বেশি সংখ্যক 'ট্রিপ মারতে' চান, কারণ বাস মালিকের চাহিদা পূরণের পর তাকে প্রতিদিন আয়ের টাকা জোগাড় করতে হয়," তিনি বলেন, "এর জন্যই তারা রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়।" ওদিকে গণপরিবহণকে ঘিরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঢেউ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের আদালতেও। দেশটির হাইকোর্ট সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার যানবাহনের ফিটনেস জরিপে একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার আদেশ দিয়েছে। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেয়।
সড়ক দুর্ঘটনা: যে কারণে বাংলাদেশের বাস ড্রাইভাররা এত বেপরোয়া
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
জোম্বি যীশু সিনসিনাটির ওই পরিবারটি যীশুর জন্মের ঘটনাটি কিছু ভাস্কর্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু সবগুলো চরিত্রই বানানো হয়েছে ভূত বা জোমবি হিসেবে। জোম্বি মানে হচ্ছে এক ধরণের ভয়াল কাল্পনিক প্রাণী যাকে বলা যায় 'জীবন্ত হয়ে ওঠা' কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ - যা জীবন্ত প্রাণীর মতোই হাঁটাচলা করে। জ্যাসেন ও আমান্ডা ডিক্সন যে জোম্বি যীশু দিয়ে তাদের বাড়ির সামনের দিকটা সাজিয়েছেন - তাতে যীশুকে দেখা যাচ্ছে ধারালো দাঁতওয়ালা একটি ভৌতিক প্রাণী হিসেবে - যার মুখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। যীশুর জন্ম সংবাদ শনে আগত জ্ঞানী লোকদেরও দেখা যাচ্ছে ভূত হিসেবে। স্থানীয় কাউন্সিল এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। ওই এলাকার খ্রীষ্টান সংগঠনগুলোও এর তীব্র নিন্দা করেছে। কিন্তু ডিক্সন দম্পতি তা উপেক্ষা করেছেন। তারা বলছেন, আমরা নাস্তিক নই। ফেসবুকে তারা তাদের এই কাজকে একটি অসাধারণ শিল্পকর্ম এবং পৃথিবীর প্রথম জোমবি যীশু বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে যে স্থানীয় স্কায়ামোর কাউন্সিলের আইন ভঙ্গ করার দায়ে তাদের ৫০০ ডলার জরিমানা হতে পারে।
'ভয়াল যীশু' দিয়ে বড়দিনের গৃহসজ্জা নিয়ে বিতর্ক
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
চীনের বোমারু বিমানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে কংগ্রেসের কাছে দেয়া এই রিপোর্টে পেন্টাগন বলছে, চীন তাদের বোমারু বিমানগুলোকে যেন আরও দূরে পাঠানো যায় সেই সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। চীন যে তাদের সামরিক ব্যয় এবং সামরিক সক্ষমতা ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে, পেন্টাগনের এই রিপোর্টে তা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে চীনের বার্ষিক সামরিক ব্যয় ১৯০ বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে এটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ। তবে পেন্টাগনের এই রিপোর্টের ব্যাপারে চীন এখনো কোন মন্তব্য করেনি। রিপোর্টে যা বলা হয়েছে পেন্টাগনের রিপোর্টটি মুলত চীনের সামরিক সক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার একটি মুল্যায়ন। এতে বলা হয়, "গত তিন বছরে পিপলস লিবারেশন আর্মি সাগরে নাটকীয়ভাবে তাদের বোমারু বিমানগুলোর বিচরণ এলাকা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সমূদ্রপথের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চলে। এর পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।" এতে বলা হয় চীন এর মাধ্যমে কি অর্জন করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। চীন তাদের স্থল বাহিনীকেও পুনর্গঠন করছে যাতে তারা লড়াইয়ে জয়ী হতে পারে। পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়, "এসব সংস্কারের লক্ষ্য আরও গতিশীল এবং মারাত্মক এক স্থল বাহিনী তৈরি করা যা দিয়ে যৌথ অভিযানে তারা মূল শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।" আগামী দশ বছরে চীনের সামরিক ব্যয় ২৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। চীনের একটি বিমানবাহী সামরিক নৌবহর যেসব এলাকায় চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে চীনের শক্তি ও প্রভাব বাড়ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। আরও পড়ুন: দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সামরিক সংঘাত? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ চীন এবং অন্যান্য দেশ তাদের বলে দাবি করে। দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যে তাদের নৌ চলাচলের অধিকার আছে, সেটা প্রমাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই ঐ অঞ্চলের আকাশে তাদের বিমান পাঠায়। তবে চীন সেখানে সাগরের মাঝখানে কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি করে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সময় সেখানে চীনের সামরিক বিমানও অবতরণ করেছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনার আরেকটি কারণ তাইওয়ান। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। পেন্টাগনের রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে, চীন হয়তো জোর করে তাইওয়ানকে তাদের অংশ করার একটি পরিকল্পনার প্রস্তুত রাখছে। চীনকে আস্থায় নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু তারপরও কিন্তু তারা তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
পেন্টাগন রিপোর্ট: 'যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য চীনের সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
অনলাইনে গেমে সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি বেশি-বরা হচ্ছে এক জরিপে বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে এই জরিপটি চালায় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর । এই জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৪ পর্যন্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের আরো কমবয়স্ক শিশুরা কতটা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে - তার তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে। গ্রামীণ ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশিস রায় বলছিলেন, "শিশুরা সবচেয়ে বেশি যে অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছে - সেটা হলো অভদ্র বা অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ তারা দেখছে। আর এটা তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে"। মি: রায় বলছেন "অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে যেমন বিরূপ মন্তব্যের মধ্যে পড়ছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া বা চ্যাট করতে গিয়েও তারা যেসব ভাষা বা মন্তব্য দেখছে - সেটা অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বাচ্চাদের জন্য যে ভাষা উপযুক্ত নয় সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে অনলাইনে। অনেকে বুঝতেও পারছে না তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে"। জরিপে বলা হচ্ছে, যাদের সন্তানেরা অনলাইনে গেম খেলে তাদের সাইবার বুলিং এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনলাইনে যারা সাধারণ ব্রাউজিং করে তাদের চেয়ে বেশি। জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাদের সন্তান এবং পরিচিত শিশুরা বিশেষ করে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। এটা ঘটে বিশেষ ওয়েবসাইটে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে। অনলাইন ব্রাউজ করছে এক শিশু আর ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী ও যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য। "জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের সঙ্গে ইন্টারনেট ও অনলাইনে আচরণ কিভাবে করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। আর ৩৯ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তারা মাঝেমধ্যে সন্তানদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে ১২ শতাংশ অভিভাবক সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে কখনোই সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করেননি" - জানান মি: রায়। দেবাশিস রায় বলছিলেন, অনেক অভিভাবক জানেনই না তাদের সন্তান কী করছেন ইন্টারনেটে, আর এটা আরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে ওই শিশুর ওপর। তবে যারা সচেতন তারা তাদের সন্তানদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন, এমনটাই উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির জরিপে। সাইবার বুলিংয়ের অভিজ্ঞতা শিশুদের ওপর নানা প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে যারা জানে না অনলাইনে বুলিং কী বা কিভাবে এর মোকাবেলা করতে হয় সেসব শিশুদের বড় একটা অংশ হতাশায় ভুগছে। তবে ২৪ শতাংশ উত্তরদাতার মতে এ অবস্থা শিশুদের আরও অনেক সাবধানী করে তোলে এবং তারা নিজেদের অনলাইনে আত্মরক্ষা করতে শেখে। আরও পড়তে পারেন: ক্যাথলিক চার্চে যৌন নিপীড়নের শিকার হাজারো শিশু কুমিরের বাচ্চা ‘উধাও হবার’ রহস্যের সমাধান ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের বিতর্কিত প্রস্তাব পাশ করলো ইসরায়েল মৃত্যুর অনুমতি চাওয়া পরিবারটির পাশে ভারত- চীন
শিশুরা কী ধরনের সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শপথ নিচ্ছেন বিএনপির চার এমপি যদিও শপথ গ্রহণের পর একজন সংসদ সদস্য বলেছেন তারা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চার এমপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই শপথ গ্রহণ করেছেন। আজ চারজন শপথ নেয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে দলটির মহাসচিবই ছাড়া বাকী সবাই শপথ নেয়া শেষ হলো। আজ যারা শপথ নিলেন তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো: আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো: হারুন অর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুল সাত্তার ভুঁইয়া। গত ৩০শে ডিসেম্বর সম্পন্ন হওয়া সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান আগেই শপথ নিয়েছেন। আজ আরও চারজন শপথ নেয়ায় দলটির একমাত্র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই শপথ নেয়া থেকে বাকী রইলেন। শপথ গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাইরে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন শপথগ্রহণকারীদের একজন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, "দলীয় সিদ্ধান্তেই আমরা শপথ নিয়েছি। এখানে দলের মুখপাত্র হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে"। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে মহাসচিব কেনো শপথ নিতে আসলেননা,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনিই বলতে পারবেন"। শপথ নেয়ার বিষয়ে কোনো চাপ ছিলো কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুণ অর রশীদ বলেন, "দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা শপথ নিয়েছি। তবে কারও কারও ওপর চাপ ছিলো। সাদা পোশাকে কিংবা দেশে যে গুম খুন চলছে তেমন চাপের শিকার হয়েছেন কেউ কেউ"। শপথ গ্রহণ কারীদের আরেকজন উকিল আব্দুস সাত্তার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তারা দলের সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত হলে মহাসচিব কেনো শপথ নেননি এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেছেন, "এটি মহাসচিবের ব্যক্তিগত বিষয় তিনি শপথ নেবেন কি নেবেননা। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তে নিয়েছি। এখন মহাসচিবই তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তিনি কেনো শপথ নেননি বা নেবেন কি-না তার ব্যাখ্যাও মহাসচিবই দিতে পারবেন"। ফখরুল ছাড়া বাকীদের শপথ ঠেকাতে পারবে বিএনপি? শপথ নিয়ে তিনি দলকে অপমান করেছেন: বিএনপি সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলেন বিএনপির জাহিদুর বিএনপির সিদ্ধান্ত বদলের আশায় নির্বাচিতদের অনেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির নির্বাচিতদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ না করার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। নিয়মানুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নিতে হয়। তবে স্পীকার চাইলে ওই সময় বাড়াতে পারেন। কিন্তু যদি শপথ নির্বাচিত কেউ না নেন এবং স্পীকারও সময় না বাড়ান তাহলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিলো গত ৩০শে জানুয়ারি এবং সে হিসেবে আজই নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার কথা। আজ বেলা পাঁচটার দিকে নির্বাচিত চারজন সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন। পরে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এর আগে গণফোরামের মোকাব্বির খানও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে বিরোধী জোট থেকে নির্বাচিতদের মধ্যে প্রথম শপথ নিয়েছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
বিএনপির চার এমপি 'দলীয় সিদ্ধান্তেই' শপথ নিয়েছেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথ গত ৩১ জুলাইয়ের ওই ঘটনার পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথ। শনিবার এই দুই শিক্ষার্থীর দ্রুত মুক্তি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকায় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে বুধবারও তারা এ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে বরগুনায় একটি মানববন্ধন শনিবার লাঠিচার্জ করে ভণ্ডুল করে দিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনায় স্থানীয় কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সিনহা মোঃ রাশেদ খানের সাথে কক্সবাজারে ডকুমেন্টারি তৈরির সময় তিনজন সাথে ছিলেন। এরা হলেন, বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং তাহসিন রিফাত নূর। এদের মধ্যে তাহসিন রিফাত নূরকে তাদের অভিভাবকের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি দুইজন - শিপ্রা দেবনাথ এবং সাহেদুল ইসলাম সিফাত এখন কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দুটি মামলা এবং শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জীবননাশের আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথের মুক্তির দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে চারদফা দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানাউল কবীর সিদ্দিকী। এর মধ্যে রয়েছে ওই দুই শিক্ষার্থীর মুক্তি, মেজর (অব) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, দুই শিক্ষার্থীকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি, দুই শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সামাজিকভাবে নিরাপত্তা প্রদান। সানাউল কবির সিদ্দিকী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''পুলিশের গুলিতে যদি একজন আর্মি মেজর নিহত হতে পারে, সেখানে সিফাত পুলিশের বিপক্ষে একজন রাজসাক্ষী। তাহলে পুলিশের হেফাজতে থেকে সে কীভাবে বিপন্ন নয়? অবশ্যই সে বিপন্ন। একটি গোয়েন্দা সংস্থা ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনেও তাকে নিয়ে জীবন সংশয়ের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার বা মাদক উদ্ধারের নাম করে রাতের অন্ধকারে যেকোনো কিছু করে ফেলা হতে পারে, সেটার সমূহ সম্ভাবনা আছে।'' তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যে মামলার কারণে এখন সিফাত এবং শিপ্রা কারাগারে রয়েছেন, যারা সেই অভিযোগ লিখেছেন, সেই মামলাকারীরাই (অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা) একই ঘটনায় এখন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। তাহলে সিফাত এবং শিপ্রার বিরুদ্ধে সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা কিভাবে থাকে? রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তিনি সাহেদুল ইসলাম শিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথের মুক্তির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। আরো পড়ুন: কক্সবাজারে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহলের কারণ কী? পুলিশের গুলিতে নিহত সিনহা রাশেদের সাথে থাকা শিক্ষার্থীরা কে কোথায়? সিনহা রাশেদ: যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেনা ও পুলিশ প্রধান যা বললেন শিপ্রা এবং সিফাতের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন উদ্বেগে আছেন সিফাতের স্বজনরাও শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, সিফাত ও শিপ্রার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরাও। সাহেদুল ইসলাম সিফাতের খালু মাসুম বিল্লাহ বিবিসিকে বলছেন, ''সিফাতকে নিয়ে আমরা বেশ শঙ্কায় আছি। কারণ এখানে দুইটা পক্ষই শক্তিশালী, এখন সে দুইটা পক্ষের মাঝখানে পড়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমরা উদ্বেগে আছি।'' মানবন্ধনের ওপর পুলিশের হামলা সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বাড়ি যেখানে, সেই বরগুনার বামনায় তার মুক্তির দাবিতে একটি মানববন্ধনে পুলিশ লাঠিপেঠা করলে অন্তত বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক মনোতোষ হাওলাদার বিবিসি বাংলাকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে প্রায় দেড়শর মতো মানুষ মানববন্ধনে যোগ দেয়। তারা সিফাতের বন্ধু এবং সাবেক সহপাঠী। তবে মানববন্ধন শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ এসে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ সময় তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। মানববন্ধন বন্ধ করে দেয়ার ব্যাখ্যা হিসাবে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস আলী তালুকদার স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ''আমাদের কারো অনুমতি না নিয়ে তারা হুট করে মানববন্ধন করেছে, আমাদের কাছে কোন ইনফরমেশন দেয়নি। আমাদের কাউকে এ ব্যাপারে আগে জানায়নি। এটা সরকারের পক্ষে নাকি বিপক্ষে, সেটাও তো আমাদের বোঝার ব্যাপার আছে। কিছু কুচক্রী মহল আছে, যারা বর্তমান সরকারের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা কি চোর, ডাকাত, নাকি ছিনতাইকারী, সেটা তো আমরা জানি না।''' দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে পুলিশ পুলিশের গুলিতে যখন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ নিহত হন তখন সেখানে ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত। সিফাতের বিরুদ্ধে একটি মামলা হচ্ছে, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করার জন্য তাক করা। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের সাথে যোগসাজশে সিফাত এ কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরেকটি মামলা মাদকদ্রব্য আইনে। সে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ মাদক জাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট এবং গাঁজা যানবাহনে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধ। অন্যদিকে শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি বিদে মদ, দেশীয় চোলাই মদ ও গাঁজা নিজ হেফাজতে রেখেছেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, আত্মরক্ষার জন্য মেজর রাশেদ খানকে গুলি করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে হিমছড়ি নীলিমা রিসোর্টে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এরপর সেটি খুঁজতে পুলিশ রিসোর্টে যায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সে রিসোর্টে গিয়ে একটি কক্ষে শিপ্রা দেবনাথ এবং আরেকটি কক্ষে তাহসিন রিফাত নূরকে পাওয়া যায়। এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছে, শিপ্রা দেবনাথের কক্ষ তল্লাশি করে সেখানে বিদেশি মদ, দেশি চোলাই মদ এবং গাঁজা পাওয়া যায়। তবে পুলিশের আনা এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সানাউল কবির সিদ্দিকী বলছেন, মদ-গাঁজা খাওয়া তো দূরের কথা, তাদের আমি একটা সিগারেটও খেতে দেখিনি। মেজর (অব) সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বোন শারমিন শাহরিয়ারের দায়ের করা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি এবং বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ (যিনি গুলি করেছেন) তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‍্যাব। এই মামলায় অপর চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এই মামলার তদন্ত করছে র‍্যাব। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগের মৃত্যু হাসপাতালে টিকটক: বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় এই অ্যাপ? সরকারি কর্মকর্তার বদলি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কেন হৈচৈ ‘অপহরণের ৩২ বছর পর আমার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি’
পুলিশের হাতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার দুই সঙ্গী সিফাত ও শিপ্রার জীবননাশের আশঙ্কা সহপাঠী ও স্বজনদের
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত সিলেট মহানগর। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে এটি প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে সিলেট ১ একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত। অতীতে এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছে তারা সরকারের ভেতরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। এ আসন থেকে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকার হয়েছিলেন। এছাড়া বিএনপির প্রয়াত প্রভাবশালী নেতা এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের আবুল মাল আব্দুল মুহিতও অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। তবে এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ১৯৯১ সাল থেকে কোন রাজনৈতিক দল পরপর দুইবার নির্বাচনে জয়ী হয়নি। সিলেট মহানগর এবং সদর উপজেলা মিলে সিলেট ১ আসনটি গঠিত। এ আসনের অধিকাংশ ভোটারই নগরের ছোঁয়া পান। ব্রিটেন প্রবাসীদের অনেকের পরিবার এখানে বসবাস করায় অনেক জায়গায় প্রাচুর্য টের পাওয়া যায়। নৌকা মার্কা নিয়ে এ আসন থেকে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন এ কে আব্দুল মোমেন এবং ধানের শীষ মার্কা নিয়ে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সিলেটে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা গেল, এখানে দলীয় প্রতীক একমাত্র বিবেচনার বিষয় নয়। ভোট দেবার ক্ষেত্রে ভোটাররা প্রার্থীর ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক পরিচয়কে বেশ গুরুত্ব দেয়। মি: মোমেনের একটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ভাই। তেমনিভাবে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বাবা খন্দকার আব্দুল মালিক ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এবারের পরিস্থিতি কেমন? ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রায় ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা এম সাইফুর রহমানকে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছর আগের সে ফলাফল আওয়ামী লীগকে খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না। কারণ মাত্র ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেন। এছাড়া ২০১৩ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেন। কিন্তু সেসব হিসেব-নিকেশ মনে রেখে বিএনপি বেশ আশাবাদী হলেও আওয়ামী লীগ মনে করছে জাতীয় নির্বাচনে নতুন হিসেব-নিকেশ হবে। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত হাফিজ কমপ্লেক্স। এটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেনের পৈত্রিক বাড়ি। একদিন সকাল নয়টায় হাফিজ কমপ্লেক্স-এ বসে কথা হলো মি: মোমেনের সাথে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচনের বিষয়ে খুব একটি চিন্তিত মনে হয়নি তাকে। মি: মোমেনের ধারণা, গত ১০ বছর যাবত আওয়ামী লীগ সরকার যে 'উন্নয়ন' করেছে তাতে নির্বাচনে জিততে তাদের সমস্যা হবার কথা নয়। সিলেট ১ আসনের জনগণ তাদের নিরাশ করবে না বলে মি: মোমেনের ধারণা। তবে এ আসনটি মর্যাদাপূর্ণ হবার কারণে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন তিনি। মি: মোমেন বলেন, " অবশ্যই কিছুটা বাড়তি চাপ তো আছেই। আমার দল এবং আমার সভানেত্রী আমাকে নৌকার প্রতীকটা দিয়েছেন। ন্যাচারালি জিতার একটি বাড়তি চাপ।" মি: মোমেনের সাথে সাক্ষাৎকার শেষ করে সকাল ১০ নাগাদ বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মুক্তাদিরের বাড়িতে পৌঁছাই। তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিও সিলেট শহরে অবস্থিত। মি: মুক্তাদিরের বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তিনি ২৫-৩০ জন কর্মীর সাথে বৈঠক করছেন। বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির নির্বাচন নিয়ে মি: মোমেনের তুলনায় মি: মুক্তাদিরকে বেশ সিরিয়াস মনে হলো। তবে তিনি বললেন, বাড়তি কোন চাপ অনুভব করছেন না। "মানুষের যে প্রত্যাশা, মানুষ যে পরিবর্তন চায়, তাতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী যে একটি ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ ভোট বিপ্লব হবে," বলছিলেন মি: মুক্তাদির। তবে বিএনপির কর্মীদের যে বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি অবাক লেগেছে সেটি হচ্ছে তাদের তৎপরতা। এবারের নির্বাচনকে তারা অস্তিত্বের প্রশ্ন হিসেবে দেখছেন। সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা থাকলেও তাদের প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তারা জড়ো হচ্ছেন। তারা কোথায় কখন জড়ো হবেন, সে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে নিচ্ছেন। কারণ, যে কোন সময় পুলিশ হানা দিতে পারে, এমন সংশয়ের কথা অনেকেই জানালেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বেশ নির্ভার। স্বভাবতই দল ক্ষমতার থাকার কারণে বাড়তি কোন টেনশন নেই তাদের। ভোটারদের চোখ কোন দিকে? এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সিলেটের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। সিলেটের ভোটারদের সাধারণত দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। একটি অংশ হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল এবং অপর অংশটি হলো নিম্নবিত্ত। উভয় শ্রেণীর ভোটারদের চিন্তাধারাও ভিন্ন। যারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় ইস্যু। অর্থাৎ দেশ কিভাবে চলছে, মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন কিংবা আইনের শাসন আছে কি না ইত্যাদি বিষয়। অপর দিক নিন্মবিত্ত ভোটাররা জাতীয় ইস্যু নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়। তাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে - এলাকার রাস্তাঘাট, দ্রব্যমূল্য এবং অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন। উচ্চবিত্ত ভোটাররা যে এ বিষয়গুলো একেবারে বাদ দিচ্ছেন তা নয়। উভয় প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি যেমন দিচ্ছেন, তেমনি জাতীয় ইস্যুগুলোও তুলে ধরছেন। সিলেট ১ আসনের অধিকাংশ ভোটার শহরাঞ্চলে হওয়ায় কারণে জাতীয় ইস্যুগুলো তাদের কাছে বিবেচ্য বিষয়। এ কথা বলছিলেন সিলেটের একজন আইনজীবী এবং মানবাধিকার-কর্মী এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম। "সিলেট ১ যেহেতু মহানগরী নিয়ে গঠিত হয়েছে, অন্যান্য মহানগরীর মতো শিক্ষিত মানুষের বসবাস বেশি থাকে। সেজন্য জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ইস্যু প্রাধান্য পায়," বলছিলেন মি: ইসলাম। এ আসনে অনেক ভোটার আছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। অন্যান্য জেলায় তাদের পৈত্রিক বাড়ি হলেও সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন এবং এখানকার ভোটার হয়েছেন। জায়েদা শারমিন, অধ্যাপক, পলিটিক্যাল স্টাটিজ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন বলছেন, এবারের নির্বাচনে সিলেট ১ আসনে নারী এবং তরুণ ভোটাররাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেটি হয়েছিল বলে জানান অধ্যাপক শারমিন। তবে একটি প্রশ্ন অনেকের মাঝেই দেখা গেল, সেটি হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো। একই সাথে এই আঁচও পাওয়া গেল যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা হবে। সিলেট-১ আসন থেকে অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন - বট গাছ মার্কায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আম মার্কায় ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উজ্জল রায় কোদাল মার্কা, বাসদের প্রনব জ্যোতি পাল মই মার্কা, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী লাঙ্গল মার্কা, মিনার মার্কা নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী হারিকেন মার্কা এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেদওয়ানুল হক চৌধুরী হাত পাখা মার্কা পেয়েছেন।
সংসদ নির্বাচন: সিলেট-১ আসনের বিজয়ী দল প্রতিবার সরকার গঠন করায় সেখানে চলছে মর্যাদার লড়াই
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
রেলওয়েকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কারিগরি কর্মীর সংকট চলছে এর মধ্যে ১৩ হাজারই কারিগরি পদ যাদের দরকার হয় ট্রেন চালানো, লাইন দেখাশোনা বা সিগনালের কাজে। লোকবলের অভাবে প্রায় ৭০টি ট্রেন স্টেশন বন্ধ হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে পুরনো দক্ষ কর্মীরা চলে যাচ্ছেন অবসরে। এই লোকবল সংকটের প্রভাব যাত্রীদের জীবনে কতটা পড়ছে? সেটি বুঝতে গিয়েছিলাম ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে। মাহবুব হাসান নামের এক যাত্রী বলছেন, "গত ২২ তারিখে আমার একটা চাকরির ইন্টার্ভিউ ছিল। সেটার জন্য ট্রেনে ঢাকা আসছিলাম। সাড়ে দশটার সময় জয়দেবপুর থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা কিন্তু প্রায় ১২টা বেজে গেছে তখনো ট্রেন ছাড়েনি। খবর নিয়ে জানা গেলো টঙ্গিতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই দেরি হচ্ছে। এরকম ঘটনাতো নিয়মিত ব্যাপার।" আরো পড়তে পারেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক চাকরিপ্রার্থীদের ‘ফার্স্ট টার্গেট বিসিএস’ কেন? বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বটগাছ স্যালাইন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা মার্কিন সেনেটের ফ্লোরে দশ দিনের শিশু, ইতিহাস সৃষ্টি মায়ের ‘হিন্দুত্ববাদী অভিযুক্তরা অব্যহতি পাচ্ছেন কেন?’ কর্মী সংকটে যাত্রীরাই সবচাইতে ভুক্তভোগী। টাঙ্গাইল ভুয়াপুরের একজন বাসিন্দা প্লাটফর্মে বসে ছিলেন ট্রেনের অপেক্ষায়। তিনি বলছেন, "প্রায়ই দেখা যায় যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রেল সময় মতো ছাড়তে পারে না। এইসব ত্রুটি সারার জন্য যে সমস্ত কারিগর প্রয়োজন তা যথেষ্ট না থাকায় দেখা যায় যে দেরি হচ্ছে। আর আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।" ঠিক এমনটাই ঘটেছে কাছেই প্ল্যাটফর্ম তিন-এ দাঁড়িয়ে থাকা একটি আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে। যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় একজন মোহাম্মদ আজাদ। তিনি বলছেন, "ট্রেনটা ছাড়ার কথা ছিল ২টা ৪০ এ। এখন সাড়ে তিনটা বাজে। কিন্তু এখনো যাচ্ছে না। লেট হচ্ছে। লেটের কারণ কি জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, "আসতেই তো লেট করেছে।" অবশেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরীতে ছেড়ে গেলো ঢাকা রাজশাহী রুটে সিল্ক সিটি ট্রেনটি। শুধুমাত্র দেরিতে যাত্রা নয় প্ল্যাটফর্মের চেহারা, রেলের বগিগুলোর বাইরে ও ভেতরে, এমনকি রেলের কর্মীদের পোশাকেও ফুটে ওঠে সংস্থাটির দুর্দশা। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ বলা হচ্ছে, এর চাকা সচল রাখার জন্য যে পরিমাণ কারিগরি কর্মী দরকার তা নেই। রেলওয়ে বলছে, সঠিকভাবে যাত্রা পরিচালনায় দেশজুড়ে রেলওয়ের ৪০ হাজার লোক দরকার। কিন্তু এর এক তৃতীয়াংশই খালি পড়ে আছে। ঢাকায় গুলিস্তানের কাছে রেল ভবনে কথা হচ্ছিলো সংস্থাটির অপারেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহানের সাথে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এত বিশাল পরিমাণে কর্মীর অভাবে ঠিক কি সমস্যায় তাদের পড়তে হচ্ছে। দেরিতে ছেড়ে যাওয়া অন্যতম বড় সমস্যা। তিনি বলছেন, "নতুন ট্রেন চালু করতে ড্রাইভার দরকার, সেখানে লোকবল স্বল্পতা রয়েছে। স্টেশনে মাস্টার দরকার, পয়েন্টসম্যান দরকার। সেগুলো না থাকার কারণে ৬০/৭০টা ষ্টেশন বন্ধ আছে। স্টেশন বন্ধ থাকায় ট্রেন পরিচালনায় যেমন সমস্যা তেমনি দুইটা ট্রেনের ক্রসিং-এও সময় বেশি লাগছে। তাই সময়মতো ট্রেন পরিচালনার যে সমস্যা সেটা কাটাতে পারছি না।" আর এসব সমস্যার প্রভাব পড়ছে যাত্রীদের উপরেই বেশি। রেলওয়েতে প্রতিদিন সারা দেশে ৩৫০টি ট্রেন সার্ভিস রয়েছে বলে এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ছয় কোটির মতো যাত্রী বহন করেছে সংস্থাটি। যাত্রীদের সাথে কথা বলতে আবারো ফিরে যাই ঢাকার কমলাপুরে। নুরুল আমিন নান্নু নামে একজন যাত্রী বলছেন, "এই ঘন ঘন লাইনচ্যুত হয়ে রেল ছিটকা পইরা থাকে। তাতে যাত্রীরা সাফার করে। আবার এগুলো যে দ্রুত উঠাইয়া আইনা লাইনটা আবার সচল করবে সেটাও হয় না। আগে কোনোদিন আমরা শুনি নাই রেল এত লাইনচ্যুত হয়" রেলওয়ের হিসেব মতে ২০০৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে ২৯বার। সিগনাল ভুল হয়েছে ৯৬বার। এছাড়াও বগি আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনা বা রেল ক্রসিং এ দুর্ঘটনাও রয়েছে বহু। এই সময়কালে এসব দুর্ঘটনায় ২৭৭ জন যাত্রী মারা গেছেন। লেভেল ক্রসিং-এ মৃত্যুর সংখ্যা অবশ্য আরো অনেক বেশি। বলা হচ্ছে, দক্ষ কারিগরের অভাবে লাইনের মেরামত সঠিকভাবে হচ্ছে না অথবা অন্য আরো নানা ধরনের কারিগরি ত্রুটি থেকে যাওয়ায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলেওয়েতে যারা কর্মরত আছেন তারাও অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্লান্ত থাকেন। রেল নিয়ে গবেষণা করছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আবু নাসের খান। তিনি বলছেন কিভাবে এই পরিস্থিতির শুরু। গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ছয় কোটির মতো যাত্রী বহন করেছে রেলওয়ে। তিনি বলছেন, "রেলওয়েকে ৮০ দশক থেকে অবহেলা করা হয়েছে। তারা প্রচুর লোকসান করছিলো তাই ৯০ এর দশকে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সুপারিশে রেলে খুব বড় ধরনের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক হয়েছিলো। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন কারিগরি লোকজন। রেল যে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এটা তার অন্যতম প্রধান কারণ" কিন্তু ৯০-এর দশকের সেই গোল্ডেন হ্যান্ডশেক কিভাবে এখনো প্রভাব ফেলছে? নতুন করে জনবল নিয়োগেই বা বাধা কোথায়? জিজ্ঞেস করেছিলাম অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহানের কাছে। তিনি ব্যাখ্যা করে যা বোঝানোর চেষ্টা করলেন তার অর্থ দাড়ায় এরকম: চতুর্থ শ্রেণীর খালাসি পদকে প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতি দিয়েই রেলে কারিগরি পদগুলো তৈরি হয়। এই খালাসি নিয়োগেই প্রচুর মামলা রয়েছে। প্রতিবার নিয়োগের উদ্যোগ নিলে অস্থায়ীভাবে চাকুরীপ্রাপ্তরা স্থায়িত্বের আশায় প্রায়শই মামলা করছেন। সেগুলো সুরাহা হওয়ার আগেই হয়তো আবারো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা অন্য কোন ত্রুটির অভিযোগে চলেছে ফের মামলা। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন নিয়োগ হওয়া অল্প কিছু লোককে কারিগরি পদে নিতে নিতেই অনেকে আবার চলে যাচ্ছেন অবসরে। সবমিলিয়ে পঞ্চাশের বেশি মামলা হয়েছে। এরকম একটি ঘূর্ণিপাকে যেন পরে গেছে সংস্থাটি। কিন্তু সেটি উত্তরণে সরকারের ভুলটা কোথায় ছিল? গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন আফ্রিকার বেশ কটি দেশে গণপরিবহন প্রকল্পে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, সড়কের উপরে বেশি মনযোগ দেয়ার কারণেই রেলের মতো একটি বহু যাত্রী বহনকারী গণপরিবহনকে অবহেলা করা হয়েছে। আর তাই রেল বহু সমস্যায় সমস্যায় জর্জরিত রয়ে গেছে। ২০১৭ সালে ৭৫ টি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলছেন, "রেল বিশ্বের একটা পুরনো গণপরিবহন ব্যবস্থা। বিশ্বের সকল দেশে রেলকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কিন্তু রেল লাইন বন্ধ করে অন্য যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করেছে সেই নজির বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও নেই। আমরা সড়কের উপরে গুরুত্ব দিতে গিয়ে রাস্তা বানিয়ে পুরো দেশটাকে মাকড়শার জালের মতো খণ্ড বিখন্ড করে ফেলেছি।" তিনি বলেন, সড়ককে গুরুত্ব দেয়ার কারণ হল সড়ক তৈরির সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় রাজনীতি। এছাড়াও সেটি বানানোর ক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যবহার হয় তাতে দুর্নীতিরও সুযোগ থাকে। তিনি বলছেন, "রেল একটি যাত্রীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা। এটি পরিবেশবান্ধব। এতে করে অনেক বেশি মানুষ একসাথে পরিবহন করা যায়। একটা ট্রেন যতো যাত্রী বহন করে সেটা বাসে করতে গেলে যানজট তৈরি হয়। রেলে যানজট নেই। অনেক রাস্তা লাগে না। সোজা একটা রেল হলেই চলে। আর রেল প্রচুর কর্মসংস্থানও করতে পারে।" রেলকে আরো সচল করার কথা বলছেন তিনি। বাংলাদেশে ২০১১ সালে একটি রেল মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে সেই উদ্যোগই নিতে চেয়েছে সরকার। রেলে হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। বর্তমানে ৪৫ টি চলমান প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আসছে নতুন কোচ এবং ইঞ্জিন। কিন্তু সেগুলো কদিন পর চালাবে কারা সেটিই এখন একটা বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে কেন ১৪ হাজার পদ খালি?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমেছে নতুন শনাক্তের সংখ্যাও নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমেছে নতুন শনাক্তের সংখ্যাও, যদিও পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশে কিছুদিন ধরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হয়েছে ১২, ৪২৩টি নমুনা। যদিও জুন মাসেও প্রতিদিন ১৭ হাজার করে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও কমেছে। যদিও এখনো পরীক্ষার বিবেচনায় প্রতি চারজনে একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আগে এই হার ছিল ২১ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, ''আমার তথ্য বিশ্লেষণে দেখছি, আমাদের নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার সংখ্যা পূর্বের তুলনায় কমেছে। এর কারণ হিসাবে অনেকগুলো ব্যাখ্যা দেওয়া যায়।'' ''সুস্থতার সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, যারা সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের দ্বিতীয়বার আর পরীক্ষা করানোর দরকার হচ্ছে না। এজন্য পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা কমেছে,'' তিনি বলছেন। কম পরীক্ষার পেছনে কারণ হিসাবে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ''পরীক্ষা করানোর জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি ফি ধার্য করা হয়েছে। সেই কারণে কিছুটা কমতে পারে।'' ''তাছাড়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক অনেকটাই কমে গেছে। মানুষ পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে আগ্রহ কম দেখাচ্ছে।'' ডা. নাসিমা সুলতানা উদাহরণ দিয়ে বলেন, ''আমাদের যেসব বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যেখানে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট, সেখানে তিনটার পরেও অনেকে নমুনা দেয়ার জন্য লাইন দাঁড়িয়ে থাকতেন।ৱ "কিন্তু এখন একটার পরেই বুথগুলো শূন্য হয়ে যায়। নমুনা পরীক্ষা করার জন্য কেউ আসে না।'' তিনি বলছেন, ''নমুনা পরীক্ষা করার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। সেই কারণে পরীক্ষাগারে নমুনা আসছে না। তাই নমুনার সংখ্যা কমে গেছে।'' তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ''সবাইকে বলবো, যাদের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার, তারা অবশ্যই আপনারা নমুনা যেখানে সংগ্রহ হয়, সেখানে যাবেন এবং নমুনা দেবেন, পরীক্ষা করবেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার একটি ফি নির্ধারণ করলেও, দরিদ্রদের জন্য পরীক্ষা এখনো বিনামূল্যে রয়েছে। তিনি বলছেন, ''দরিদ্রদের জন্য নমুনা এখনো ফ্রি। যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নমুনার জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ আছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য, দরিদ্র মানুষের জন্য নমুনা সংগ্রহ ফ্রি।'' ''কাজেই আপনারা সরকারের এই সুবিধা অবশ্যই গ্রহণ করতে পারেন। যাদের দরকার অবশ্যই নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করাবেন।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাসে মারা গেছেন যমুনা গ্রুপের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল বাংলাদেশে পরীক্ষা করা নমুনার চার ভাগের এক ভাগই কোভিড-১৯ পজিটিভ জালিয়াতির অভিযোগ: তিন দিনের রিমাণ্ডে জেকেজি'র চেয়ারম্যান সাবরিনা স্কুলের বেতন নিয়ে দ্বিমুখী সংকট, সমাধানে সরকারের কিছু করার আছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে গিয়ে প্রথম দিকে অনেক মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বে-নজির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ''আমাদের ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া উচিত, যারই পরীক্ষার প্রয়োজন, তিনি যেন এটা সহজে করাতে পারেন। সেটা তিনি যেই শ্রেণী পেশার মানুষ হোক না কেন। কিন্তু সেই জায়গাটায় সমস্যা রয়েছে।" জুন মাসের শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি এবং জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ''চাহিদার তুলনায় এখনো আমাদের টেস্টের সংখ্যা কিন্তু কম। ''সেটা বাড়ানোর জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি, যাতে আরটিপিসিআরের পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেনের মতো পরীক্ষাও চালু করা হয়। সেটা এর মধ্যেই দুইটি জায়গায় শুরু হয়েছে, আরও বাড়ানো হবে।'' ''যতজন পরীক্ষা করাতে চাইবেন, সবাই যেন করাতে পারেন। কেউ যেন ফেরত না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা সব পেশাজীবীর, সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে।'' তিনি বলছেন। এদিকে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে প্রতারণা এবং টেস্টের মান নিয়ে উদ্বেগ থাকায় ইতালি বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, করোনাভাইরাস টেস্টের মান যদি উন্নত না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেকায়দায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা কম হওয়ার যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী এবং এস আই নন্দলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজন আসামীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন আত্মসমর্পণ করেননি বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহম্মদ মোস্তফা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন। শুরুতে অভিযুক্ত ৯ জন পুলিশ সদস্যের সবাই আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হলেও পরে জানা গেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন আত্মসমর্পণ করেননি। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার আগে সন্ধ্যায় আদালত অভিযুক্তদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা সেসময় বলেছিলেন, "যেহেতু এটি হত্যা মামলা, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন দেয়ার এখতিয়ার নেই। তাই তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।" এর আগে দুপুরের দিকে ওসি প্রদীপ কুমার দাস চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের আদালতে নেয়া হয় তাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এস আই লিয়াকতসহ বাকি ছয়জন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য। এর আগে বুধবার কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপ কুমার দাস এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত সহ নয়জন পুলিশ সদস্যকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মেজর (অব.) সিনহা রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়ার। মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‍্যাবকে। এছাড়া গতকালই ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। গত ১লা অগাস্ট টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন পুলিশের গুলিতে নিহত সিনহা রাশেদের সাথে থাকা শিক্ষার্থীরা কে কোথায়? সিনহা রাশেদ: যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেনা ও পুলিশ প্রধান যা বললেন বৈরুত বিস্ফোরণের কারণ এ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কী জিনিস? "অভিভাবক হারালাম"- বৈরুতে নিহত মিজানুর রহমানের ভাই
মেজর সিনহা রাশেদ: টেকনাফ থানার সাবেক ওসি সহ তিন পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত, বাকিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এগারো লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে এক বৈঠকে মি. মোমেন এ'কথা বলেন। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার সাত দিন পরেই এই বৈঠক করা হয়। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের নেতারা বলছেন, তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব এবং তাদের জান-মালের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত দেশে ফিরে যেতে চান না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের বলেন, মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করে, সে লক্ষ্যে অং সান সু চির সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। ''রোহিঙ্গাদের নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব মিয়ানমারের, বাংলাদেশের নয়,'' মি. মোমেন বলেন। ''মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করতে হবে,'' বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিবিসি বাংলার সাইয়েদা আক্তার জানাচ্ছেন, বৈঠকে অংশ নেয়া কোন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। সাইয়েদা আরো জানান, বৈঠকে মিয়ানমার এবং চীনের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে চীনের রাষ্ট্রদূতএর আগে আব্দুল মোমেনর সাথে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন। মি. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন যে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের যারা নেতৃত্ব দেন, যারা 'মাঝি' নামে পরিচিত, তাদের ৫০-১০০জনেক মিয়ানমারে নিয়ে দেখানো হোক সেখানে পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর প্রস্তাবের জবাবে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা কী জবাব দিয়েছেন, সেটা জানা যায়নি। মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) প্রদেশ থেকে মূলত মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রথম বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে আসে ১৯৭৮-৭৯ সালে। এরপর ১৯৯২-৯৩ সালে আরেক দফা শরণার্থী সংকট দেখা দেয়। এ'দুবারই বেশির ভাগ শরণার্থীকেই মিয়ানমার ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫শে অগাস্ট রাখাইনে নতুন সংকট সৃষ্টি হয় এবং কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় নয় লক্ষ শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কক্সবাজারের দুইটি উপজেলা, টেকনাফ এবং উখিয়ায় মূলত তাদের জন্য শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। দু'বছরেও এই নতুন সংকটের কোন সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশের ভেতরে উদ্বেগ ক্রমশ: বাড়ছে। অন্যদিকে, মিয়ানমার এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেবার কোন প্রতিশ্রুতি না দেয়ায় শরণার্থীদের কেউ ফিরে যেতে সম্মত হচ্ছে না।
রোহিঙ্গা সংকট: সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ চায় বাংলাদেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইমরান এইচ সরকারকে ঘিরে ধরেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার ঢাকায় এক সমাবেশ থেকে সাদা পোশাকে র‌্যাবের একদল মি. সরকারকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তবে তাকে কেন আটক করা হয়েছে তার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোন তথ্য জানা যায়নি। গণজাগরণ মঞ্চ মাদকবিরোধী অভিযানের সময় ঘটা বিনা বিচারে মানুষ হত্যা'র প্রতিবাদে বিকেলে শাহবাগ এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। ইমরান এইচ সরকার সমাবেশস্থলে আসার পর একটি মাইক্রোবাস উপস্থিত হয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর লাঠিপেটা। আরও দেখুন: বাংলাদেশ ক্রিকেট: আফগান বিপর্যয় নিয়ে তোলপাড় আসিফ-শফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল যেভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে খেলা বাতিল করলো আর্জেন্টিনা এসময় র‌্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়িও সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর সাদা পোশাক পর র‌্যাব সদস্যরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে মি. সরকারকে হাত ধরে টেনে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এসময় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের লাঠিপেটা করে। এতে বেশ ক'জন আহত হন। গণজাগরণ মঞ্চ গত সোমবার বিনা বিচারে মানুষ হত্যা'র প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গেলেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সে সময় তারা বুধবার এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছিল।
বাংলাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান সরকারকে যেভাবে পুলিশ তুলে নিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গর্ভবতী নারীদের ওপর কোভিডের টিকার অপকারিতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো দাবি ভিত্তিহীন বলেছেন বিশেষজ্ঞরা লন্ডনের কিংস কলেজের স্ত্রীরোগ বিষয়ে অধ্যাপক এবং রয়াল কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ান ও গাইনোকোলজিস্ট-এর মুখপাত্র লুসি চ্যাপেল বলেছেন "এমন কোন জৈব প্রক্রিয়া" নেই যার মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে। কীভাবে কাজ করে এই ভ্যাকসিন? করোনাভাইরাসের বিশেষত্ব যে "স্পাইক প্রোটিন" তার একটি কণা যা ক্ষতিকর নয়, সেটি তৈরি করে এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে শরীর এই স্পাইককে চিনতে শেখে। টিকার মাধ্যমে ঢোকা নতুন এই স্পাইককে ঠেকাতে তৎপর হয়ে ওঠে শরীরের রোগ প্রতিরোধী প্রক্রিয়া। শরীরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি এবং ভাইরাস ঠেকাতে তৈরি হয় রক্তের শ্বেতকণিকা। বিশেষ এই স্পাইকযুক্ত ভাইরাস ভবিষ্যতে আবার আক্রমণ করলে এভাবে তার সাথে লড়ার ক্ষমতা শরীরে তৈরি হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিন আপনার শরীরে ভাইরাস ঢোকাচ্ছে না এবং আপনার নিজস্ব জিন সম্পর্কিত কোন তথ্যকে কোনভাবেই প্রভাবিত করার ক্ষমতা এই ভ্যাকসিনের নেই। "স্পাইকের বার্তাবাহী এই কণা" মানুষের শরীরে বেশিক্ষণ বাঁচে না। এই কণা শরীরকে ভাইরাসের চরিত্র সম্পর্কে খবর দেবার পরই বিনষ্ট হয়ে যায়। এ কারণেই ফাইজারের ভ্যাকসিনকে এত নির্দিষ্টভাবে মজুত রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। যদি এই টিকা সঠিক তাপমাত্রায় সঠিকভাবে না রাখা হয় তাহলে ভাইরাসের জিন সম্পর্কিত তথ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তখন এই ভ্যাকসিন আর কার্যকর হয় না। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লিডসের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নিকোলা স্টোনহাউসও বলেছেন নারীর প্রজনন ক্ষমতার ওপর এই টিকার কোনভাবেই প্রভাব ফেলার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তার কাছে নেই। গুজবের ভিত্তি কী? অনলাইনে কিছু মানুষ যুক্তরাজ্য সরকারের আগে প্রকাশিত একটি দিকনির্দেশনা থেকে একটি লাইন তুলে ধরেছে যেখানে সেসময় বলা হয়েছিল ফাইজারের টিকা প্রজনন ক্ষমতার ওপর কোন প্রভাব ফেলে কিনা তা "অজানা"। তবে এই নির্দেশিকা পরে আপডেট করা হয়েছিল যেখানে ব্যাখ্যা করা হয় যে, প্রাণীদেহে চালানো পরীক্ষায় প্রজনন ক্ষমতার ওপর এই ভ্যাকসিনের কোন প্রভাব পাওয়া যায়নি। এখানে বিভ্রান্তির একটা কারণ হল বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা আর মানুষের বোঝার মধ্যে ফারাক। বিজ্ঞানীরা যখন বলেছেন "কোন তথ্যপ্রমাণ নেই", তারা বুঝিয়েছেন যে ভ্যাকসিনের এই দিকটি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার কাজ এখনও করা হয়নি। কিন্তু তার মানে এই নয় "আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে বলা যে এটা ক্ষতিকর"। অধ্যাপক চ্যাপেল আরও বলেছেন, ফ্লু ভ্যাকসিনসহ নিষ্ক্রিয় জীবাণু দিয়ে তৈরি অন্যান্য ভ্যাক্সিন থেকে দেখা গেছে এধরনের টিকা প্রজনন ক্ষমতার ওপর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্যও এধরনের টিকা নিরাপদ। আর অধ্যাপক স্টোনহাউস বলছেন কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটা কিন্তু বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। সেখানে এই টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দিচ্ছে। "ভ্যাকসিন নেবার পর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয় না, বরং কোভিড আক্রান্ত হবার পর আপনার গর্ভধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবার আশংকাই বেশি।" প্ল্যাসেন্টা নিয়ে ভুয়া দাবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো কিছু গুজবে এমন দাবিও করা হয়েছে যে এই ভ্যাকসিনের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করার পেছনে কারণ হল যে প্রোটিনের বার্তা দিয়ে এই টিকা তৈরি করা হয়েছে, সেই একই প্রোটিন থাকে প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুলে। কাজেই তাদের দাবি হল এই ভ্যাকসিন নিলে শরীর প্ল্যাসেন্টাকেও আক্রমণ করার জন্য তৈরি হবে। আরও পড়তে পারেন: ভ্যাকসিন প্র্যাসেন্টাকে আক্রমণ করে বলে সামাজিক মাধ্যমে তোলা পোস্ট 'ভুয়া' প্রমাণিত করছেন বিজ্ঞানীরা এটা ভুল। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই টিকা যে প্রোটিন দিয়ে তৈরি তার সাথে প্ল্যাসেন্টা যে প্রোটিন থেকে তৈরি হয় তার সাথে কিছুটা মিল রয়েছে বটে, কিন্তু এই দুই প্রোটিনের চরিত্র হুবহু এক নয়, তাদের মধ্যে যে তফাতগুলো আছে তা কখনই আমাদের শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করবে না। ভ্যাকসিন ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের নির্দিষ্ট একটি অংশ নিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে শরীর শুধু সেটিকেই চিহ্নিত করে কাজ করবে। অধ্যাপক চ্যাপেল বলছেন, প্রোটিনের এই মিলের মধ্যে "উদ্বিগ্ন হবার কিছুই নেই", কারণ প্রকৃতিতে এই একই জাতের প্রোটিন আরও অনেক কিছুর মধ্যে আছে। তিনি বলছেন, মোদ্দা কথা হল একটি জিনের দৈর্ঘ্য, তার গঠন ও পরম্পরা সব কিছু মিলে একটা জিন তার নিজস্বতা অর্জন করে। দুটো জিন কখনও হুবহু একই বৈশিষ্টের হয় না। গর্ভবতী নারী ও যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তাদের নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করেন অধ্যাপক চ্যাপেল। তিনি বলেছেন কোভিডের ভ্যাকসিনের সাথে প্রজনন ক্ষমতার যোগাযোগ নিয়ে তিনি একেবারেই উদ্বিগ্ন নন। ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার, জোনাথান ভ্যান ট্যামও বলেছেন: "কোন টিকা নিয়ে করোর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করেছে এমন কথা আমি কখনও শুনিনি। ভীতি ছড়ানোর জন্যই এ ধরনের জঘন্য দাবি তোলা হচ্ছে।" অন্তঃসত্ত্বা নারী গর্ভবতী নারীরা স্বভাবতই তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা ধরনের উদ্বেগের মধ্যে থাকেন। আমরা জানি গর্ভবতী থাকাকালীন নিয়মিত বমিভাব কাটানোর ওষুধ থ্যালেডোমাইড নিয়ে কেলেংকারির ঘটনা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যে ওষুধ খেয়ে বহু নারী শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। এসব শিশু জন্মেছিল হাত-পা বিহীন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেয়ার ব্যাপারে যা বলছেন স্বাস্থ্যসচিব জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ জিয়ার 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের লাভ লোকসান কোরান তেলাওয়াতের ‘অপূর্ব এক কণ্ঠ’ নূরীন মোহামেদ সিদ্দিগ অন্ত:সত্ত্বা নারীও বিশেষ ঝুঁকিতে থাকলে নিরাপদে টিকা নিতে পারেন বলেই বিশেষজ্ঞদের মত সেই ঘটনার অভিজ্ঞতার আলোকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ওষুধ দেবার ব্যাপারে সতর্কতা এখন অনেক বেড়ে গেছে। কোভিডের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় কোন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সেই ট্রায়ালের অংশ করা হয়নি। কড়া ওষুধ থ্যালেডোমাইড আর ভ্যাকসিনের মধ্যে পার্থক্যও আকাশ পাতাল। তার পরেও গর্ভবতী নারীদের ভ্যাকসিন না নেবার জন্যই সাধারণভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যদি না তারা খুব বেশিরকম কোভিডের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, যেমন স্বাস্থ্যগত কারণে বা স্বাস্থ্যকর্মী বা সম্মুখ সারির কর্মী হিসাবে যারা ভাইরাস থেকে বড়ধরনের ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবধরনের ওষুধের কিছু না কিছু ঝুঁকি আছে। তাদের মূল পরামর্শ হল তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করে, ঝুঁকির গুরুত্ব কার জন্য কতটা সেটা আমলে নিয়ে এগোন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এধরনের ভিত্তিহীন গুজব মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের শুধু আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
কোভিডের টিকা: ভ্যাকসিন থেকে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে বলে সামাজিক মাধ্যমের গুজবের কতটা ভিত্তি আছে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ভিডিও গেমটির অনেক ফ্যান আছে প্লেয়ার আননোন ব্যাটল গ্রাউন্ডস নামের ভিডিও গেমটি ওই অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। আর সেটির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েই ফতোয়া এলো দ্যা কুর্দিশ ইউনিয়ন অফ ইসলামিক স্কলারস থেকে। ইরাকি কুর্দিস্তানে ফতোয়া দেয়ার ক্ষমতাও তাদের রয়েছে। মূলত তারাই সেখানে এ ধরণের ফতোয়া দেয়ার যথাযথ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অন্য ইমামরা অবস্থান নিয়েছেন এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। এর কারণ কী? আরো পড়ুন: ভিডিও গেমে আসক্তি মানসিক রোগ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভিডিও গেমস খেলা বন্ধ হলে কি কমবে চোখের সমস্যা? গেমে আসক্তি 'মানসিক রোগ', বাংলাদেশের চিত্র কি? প্লেয়ার আননোন ব্যাটল গ্রাউন্ডস ভিডিও গেমটি অবশ্য শুধু ওই অঞ্চলেই নয়, বিশ্বজুড়েই ব্যাপক বিক্রি হওয়া একটি ভিডিও গেম। ইরাকি কুর্দিস্তানে গেমটির রয়েছে অসংখ্য ফ্যান। ভিডিও গেমটি নিয়ে বিভক্তি ইমামদের মধ্যে তাদেরই একজন বলছেন, "এটা আসলেই চমৎকার। আমার আশা মানুষ এই গেম খেলা অব্যাহতই রাখবে"। কিন্তু গেমটির এতো জনপ্রিয়তা নিয়ে আবার সবাই যে খুব খুশি তাও নয়। যেসব ইমামরা এ গেমটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে তাদের যুক্তি হলো সময় এভাবে অপচয় করা ইসলাম সম্মত নয়। ইরফান রাশেদ নামে কুর্দিস্তান ইউনিয়ন অফ স্কলারসের একজন ইমাম বলছেন, মোবাইল ফোনে খেলার কারণে এটি একজন মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। "এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। নবী বলেছেন শরীরের একটি অধিকার আছে এবং এর যত্ন করতে হবে।" কিন্তু উদারপন্থী অন্য কুর্দিশ ইমামরা এ ধরণের ব্যাখ্যার পক্ষপাতী নন। ভিডিও গেমটির একটি দৃশ্য মালা সামান সাঙ্গাভি নামে একজন কুর্দি ইমাম বলছেন, "এতদিন এ গেমটিই বাকী ছিলো। এখন এটির ওপরও হাত পড়েছে। দেশের তরুণরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।" অনেক কিছুকেই হারাম বলা হচ্ছে যা তারা সমর্থন করছেন না। তাদের পরামর্শ তরুণদের নিজেদের মতোই থাকতে দিন। স্থানীয় একটি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক বলছেন সাম্প্রতিক সময়ে পাল্টা যুক্তি দেয়া শুরু করেছে সেখানকার মানুষ। তবে এ ঘটনাটি ধর্ম বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যান্য খবর: 'সৌদি যুবরাজই খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দেন ': সিআইএ বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের অভিনব প্রতিবাদ ভুয়া খবরের নকল ওয়েবসাইট: বন্ধ করার দায়িত্ব কার
ভিডিও গেম ফতোয়া নিয়ে ইরাকে ইমামরা কেন বিভক্ত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পুকুরে মাছ ও উপরে মুরগী তারা বলছেন এ পদ্ধতিতে মাছের জন্য আলাদা করে সার বা খাদ্য দেয়ার প্রয়োজন হয় না বরং মুরগির উচ্ছিষ্টই মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর মিশ্র এ চাষ পদ্ধতিতে প্রতি শতাংশে ২০ থেকে ২৫ কেজি মাছ উৎপাদন সম্ভব। তাছাড়া সমন্বিত পদ্ধতিতে শুধু মুরগিই নয়, হাঁসও চাষ করা যায়। মুরগি ও মাছ এক সাথে চাষের সুবিধা বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামের কৃষিশিক্ষা বইতে বলা হয়েছে মুরগির বিষ্ঠা ও পড়ে যাওয়া খাদ্য মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার পুকুরের পাড়ে বা পানির উপর ঘর তৈরি করা হয় বলে মুরগির ঘরের জন্য আলাদা করে জায়গার দরকার হয়না। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় একটি মাছের ফার্ম আবার পানির ওপরে ঘর হওয়ার কারণে মুরগির বিষ্ঠা সরাসরি পানিতেই পড়ে। পাশাপাশি মুরগিকে যে খাবার দেয়া হয় তার অব্যবহৃত অংশ এবং পানিতে পড়ে যাওয়া খাদ্য মাছের সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে মাটির সংস্পর্শে না থাকায় মুরগির রোগ বালাই কম হয় ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর মুরগির বিষ্ঠা পুকুরের সার হিসেবেও কাজ করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাঁস পালনে চ্যালেঞ্জ কেমন, লাভ কতটা বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে গাভী যেভাবে জন্ম দেবে জমজ বাছুর ব্রয়লার মুরগি এতটা দ্রুত বেড়ে উঠছে কেন? এ ধরণের খামার পুকুরের পার ঘেষেও করা সম্ভব হতে পারে মাছের জাত নির্বাচন ও সংখ্যা সমন্বিত মুরগি ও মাছ চাষ পদ্ধতিতে পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ ছাড়তে হবে এবং মাছ যেন একে অপরের প্রতি সহনশীল হয়। বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাসের বিভিন্ন মাছ ছাড়লে পুকুরে উৎপাদিত খাদ্যসমূহের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে এবং মাছের উৎপাদনও বাড়বে। শুধু এক প্রজাতির মাছ ছাড়লে এক জাতীয় এবং এক স্তরের খাদ্য খাবে, তাদের খাদ্যের সম্পূর্ণ ব্যবহার হবেনা। ফলে মাছ উৎপাদন কম হবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামের কৃষিশিক্ষা বইতে লেখা হয়েছে, "তাই সমন্বিত মুরগি ও মাছ চাষ পদ্ধতিতে পুকুরের তলা, পানির মধ্য ভাগ এবং উপরিভাগের খাদ্য খায় এমন প্রজাতি যথাক্রমে মৃগেল, কালা বাউশ, রুই কাতলা কিংবা সিলভার কার্প জাতীয় মাছ ছাড়তে হয়"। এতে আরও বলা হয়েছে যে ৩৩ শতাংশের একটি পুকুরে আট থেকে দশ সেন্টিমিটার আকারের এক হাজার পোনা মাছ ছাড়া যেতে পারে। এছাড়া নির্ধারিত হারে মাছ ছাড়লে প্রতি বিঘায় অন্তত ৬শ কেজি মাছ, ১২-১৫ হাজার ডিম ও প্রায় এক হাজার কেজি ব্রয়লারের মাংস উৎপাদন সম্ভব। মুরগির সংখ্যা কেমন হবে কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ লিখেছেন, প্রতি শতাংশে দুটি হারে মুরগি পালন করলে মাছ চাষের জন্য কেনো সার বা খাদ্য দিতে হয়না। এ হিসেবে বিঘাপ্রতি ৬০-৭০টি ও একর প্রতি দুশো মুরগি পালন করা যায়। রাজধানী ঢাকার একটি পাইকারি মাছ বাজার তবে সময়মত দরকারি ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং মুরগি অসুস্থ হলে ঘর থেকে সরিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু বাণিজ্যিক ভাবে দেখা যাচ্ছেনা কেন? মৎস্য গবেষণা ইন্সটিউটের যশোর স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের প্রধান ডঃ রবিউল আউয়াল হোসেন বলছেন গৃহস্থালি হিসেবে এটি দারুণ একটি আইডিয়া যা ইন্সটিটিউট থেকে অনেক আগেই প্রবর্তন করা হয়েছিলো। "ধরুন বাড়িতে একটি পুকুর আছে সেখানে একই সাথে মাছ ও মুরগি চাষ তো বটেই সাথে পুকুরের পাড়ে সবজি আবাদ করা যায়। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু মাছ চাষ নিয়ে অতিরিক্ত বাণিজ্যিক চিন্তার কারণে এটির প্রচলন হয়তো খুব বেশি হয়নি"। তিনি বলেন, ধারণাটি যতটা সম্ভাবনাময় ছিলো ততটা হয়নি - কারণ মাছ চাষ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প এসেছে এবং তাতে বেশি ঘনত্বের মাছ চাষ হচ্ছে। "মুরগি ও মাছ- সমন্বিত চাষে ঘনত্বের বিষয়টি ঠিক মতো করতে হয়। অতিরিক্ত ঘনত্বের মাছ চাষে সেটি হয়না। তাই এখন ঘর গৃহস্থালির ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাড়িতে যাদের পুকুর আছে তারা এটি করলে বেশি সুবিধা পাবেন বলে আমি মনে করি"।
যেভাবে একই সাথে চাষ করবেন মাছ ও মুরগি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শেখ সাদ আল হাজারি নামের ওই ইমাম বলেছেন, "নারীদের মাথায় এমনিতেই অর্ধেক বুদ্ধি আছে, আর কেনাকাটার পর তাদের মাত্র ২৫ শতাংশ বুদ্ধি বজায় থাকে"। সৌদি আরবের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত আসির অঞ্চলে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান শেখ হাজারি। একদিন এক আলোচনার প্রাক্কালে নারীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার এই মন্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে পড়ে ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই প্রেক্ষাপটে আসির অঞ্চলের গভর্নর শেখ হাজারিকে ধর্মপ্রচার এবং অন্য যে কোনো ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এখানে উল্লেখ্য, সৌদি আরবে নারীরা গাড়ি চালাতে পারে না। যদিও দেশটিতে কোনো আইনে নেই যে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ৩ মাইল লম্বা বিয়ের শাড়ি পরে বিতর্কের মুখে দম্পতি রোহিঙ্গাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস পরীক্ষার চিন্তা রোহিঙ্গা শিশুদের ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ উবারের লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে না লন্ডনে
নারীদের বোকা বলে নিষিদ্ধ হলেন সৌদি ইমাম
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
রবিবার তৃনমূলের জয়ের পর মমতা ব্যানার্জী প্রেস কনফারেন্সে বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে ভোট পূনঃগণনার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু বিধানসভায় কোন আসনে বিজয়ী না হলে একজন প্রার্থীর কি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকে? ভারতের ১৯৫১ সালের জন-প্রতিনিধিত্ব আইন বলছে, কোন দল সরকার গঠন করলে এবং সেই দলের নির্বাচিত সদস্যরা যদি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করে, সেক্ষেত্রে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবেন। সেই হিসেবে এখন তৃণমূলের বিধায়কদের স্বাক্ষরিত চিঠি রাজ্যপালের অনুমতি বা সাক্ষর নিয়ে তিনি রাজ্যের প্রধান হতে পারবেন। তবে এভাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন ১৮০ দিন বা ছয় মাস। এই সময়সীমার মধ্যে তাকে কোন একটি আসনে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। নয়তো ছয় মাস পর ছেড়ে দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ। আরো পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধর্ম কেন এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ? 'বাংলার নিজের মেয়ে'র এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে টক্কর আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনের ফল, যা যা বদলাতে পারে নির্বাচনের আগে হুইল চেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী অর্থাৎ তৃণমূলের কোন একজন বিধায়ককে এখন পদত্যাগ করতে হবে। এরপর ঐ আসনে নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচন দেবেন। সেখান থেকে মমতা ব্যানার্জীকে জিতে আসতে হবে। মমতা ব্যানার্জী এর আগে ২০১১ সালে ভোটে অংশ না নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন তিনি ভারতের রেলমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ভবানীপুরে তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত বকশী পদত্যাগ করেন, এবং সেই আসনে উপনির্বাচনে জিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পোক্ত করেন তিনি। অবশ্য তৃণমূলের কোন বিধায়কের পদত্যাগ ছাড়াও উপনির্বাচনে জিতে আসার সুযোগ আছে মমতা ব্যানার্জীর। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টিতে ভোট হয়েছে এবার। বাকী দুটিতে ভোট হয়নি একজন করে প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায়। ফলে ওই দুটো আসনে উপনির্বাচন দিতেই হবে নির্বাচন কমিশনকে। সে দুটো আসনের যে কোন একটিতে ভোটে লড়ে জিতে এসেও মুখ্যমন্ত্রীত্ব পোক্ত করতে পারেন মমতা ব্যানার্জী। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জী যে আসন থেকে ভোটে লড়েছেন সেখানে আবার নতুন করে ভোট গণনার দাবি করেছে তার দল। তৃণমূল রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছে যে ভোট গণনায় নানা ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পদ্মায় নোঙর করা জাহাজের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত আটকে রাখা সিংহের প্রজনন বন্ধ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ভিক্ষার জন্য অপহরণ: যেভাবে উদ্ধার হল দুই বছরের শিশু আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আমেরিকা জনপ্রিয় খাবার না হলেও কেন বাংলাদেশে হাঙ্গর ধরা হয়?
মমতা ব্যানার্জী: নন্দীগ্রামে পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল। এমন অবস্থায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে প্রতিবছর যে রকম জমজমাট প্রস্তুতি থাকে, এবারে সে চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। যার একটি প্রভাব পড়েছে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাজারের ওপর। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। নারায়ণগঞ্জের তাঁতিপল্লিতে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের আগে কারিগরদের দম ফেলার সময় হতো না। এবার তাদের হাতে কোন কাজ নেই। একের পর এক অর্ডার বাতিল হওয়ায় মহাজনরাও বিপাকে পড়েছেন। তারা না পারছেন ঋণ পরিশোধ করতে, না পারছেন ক্ষুদ্র তাঁতিদের মজুরি দিতে। এদিকে পাইকাররা পুরানো অর্ডারের পণ্য নিতে না চাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন এই তাঁতিরা। তাঁতি মো. মনির হোসেন বলেন, "আগে এই সময় পঁচিশটা কাপড়ের অর্ডার থাকলেও লাখ টাকার উপ্রে ইনকাম ছিল। এখন যা চলতাসে এই রকম দুইমাস থাকলে আমার লাখ টাকার উপ্রে ক্ষতি হয়া যাবে।" তাঁতিপল্লির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মি. হোসেনের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি দেশজ পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বড় ধরণের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। এছাড়া সামনের মাসেই রোজার ঈদ হওয়ায় দুটি উৎসব মিলিয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই বড় অংকের বিনিয়োগ করে রেখেছিলেন তারা। কিন্তু এখন তাদের পণ্য বিক্রি করার কোন অবস্থা নেই। ফ্যাশন হাউজ শৈলীর স্বত্বাধিকারী তাহমীনা শৈলী বুঝতে পারছেন না তিনি এবং তার মতো মাঝারি উদ্যোক্তারা কবে নাগাদ এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। "সুতা, রং, কারিগরদের অ্যাডভানস করা আছে। গ্রাফিক্সের কাজ, তারপর শোরুমের ইন্টেরিওর। এতো ইনভেস্ট করার পরে এখন কিছু বিক্রি করতে পারছি না। ফ্যাক্টরিতে ম্যাটেরিয়াল নষ্ট হচ্ছে। অনেক লস হয়ে গেছে।" পহেলা বৈশাখের এই আয় থেকে সারাবছরের কর্ম পরিকল্পনা করে থাকেন মিসেস শৈলী। তাই এবারের লোকসান সারা বছরব্যাপী বয়ে বেড়াতে হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। "পহেলা বৈশাখে যে বিক্রি হয় এটার টাকা দিয়ে ছোট ছোট অন্য প্ল্যান করি। এখন বলতে গেলে সব বন্ধ হওয়ার অবস্থা। কি যে করবো বুঝতে পারছি না।" বলেন মিসেস শৈলী। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? পহেলা বৈশাখের আয় দিয়ে সারা বছরের কর্ম পরিকল্পনা করে থাকেন অনেক ব্যবসায়ীরা। আবার কেনাকাটা করার সুযোগ সীমিত হয়ে আসায় ভোক্তাদের কাছেও নববর্ষ উদযাপন যেন ম্লান হয়ে গেছে। ঢাকার বাসিন্দা অজন্তা বড়ুয়া পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতেন। নিজের জন্য নতুন শাড়ি/গহনা কেনার পাশাপাশি পরিবারের জন্যও কেনাকাটা করতেন তিনি। বাড়িতেও থাকতো নতুন মাটির বাসনে বাঙলা খাবারের বিশেষ আয়োজন। কিন্তু এবারের কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে তার বর্ষবরণকে ঘিরে কোন আয়োজনই থাকছে না। "এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই একটা প্ল্যান থাকে যে নতুন কাপড় কেনার। এবারও ভেবেছিলাম নতুন শাড়ি, মাটির গয়না পরে বের হবো। কিন্তু এর কিছুই আসলে হবে না। কারণ সবাই বাসায় বন্দি। উৎসবের আনন্দটাই এবার নেই।" বলেন মিস বড়ুয়া। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনেকেই নতুন পোশাক কিনে থাকেন। বর্ষবরণকে ঘিরে পুরো দেশের অর্থনীতিতে বড় অংকের লেনদেন হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে এই লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর ওপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রামের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিকাশ লাভ করেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অর্থনীতিতে বড় ধরণের ধস নামতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ নাজনিন আহমেদ। "এবারে পহেলা বৈশাখে যে ক্ষতিটা হচ্ছে সেটার প্রভাব কিন্তু গ্রামের ওই পুতুল বানানোর কারিগর থেকে শুরু করে শহরের বিলাসবহুল বিপানি বিতানের ওপরও পড়েছে। কারণ তাদের বিক্রির একটা বড় উৎস হচ্ছে এই পহেলা বৈশাখ।" এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তিনি অনলাইনে পণ্য বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন। এবং এই পণ্যের সরবরাহ অর্থাৎ উদ্যোক্তার কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যটি পৌঁছে দেয়ার কাজটি যেন নিরাপদে হয়, সেজন্য সরকারের সেবাদানকারী সংস্থা যেমন পুলিশ, সেনাবাহিনী সেইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখে জামদানি শাড়ির একটি বড় চাহিদা থাকে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থাকা লাখ লাখ হস্ত ও কারুশিল্পীরা ব্যবসা করে থাকেন। প্রান্তিক এই উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে সামর্থ্যবানদের কেনাকাটা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মিসেস আহমেদ। তিনি মনে করেন, এসব পণ্যের বিক্রি অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির চাকাও সচল হবে।
করোনাভাইরাস: পহেলা বৈশাখের বাজারে ধস
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে ২০দিন খদ্দেরদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় এই যৌনপল্লীতে এই সময়ে খদ্দেররা যাতায়াত করতে পারবে না বলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিবিসিকে জানিয়েছেন, দৌলতদিয়ায় যৌনপল্লীকে ঘিরে পাঁচটি গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু প্রধান গেট খোলা রেখে সেখানে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, যৌনপল্লীর বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনে পল্লীটির প্রধান গেট দিয়ে পুলিশের অনুমতি নিয়ে বাইরে যেতে পারবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন মিটিয়ে তাকে ফিরতে হবে। মি: রহমান বলেছেন, যেহেতু এই যৌনপল্লীতে দিনে অনেক খদ্দের যাতায়াত করে, সেকারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। আর সেজন্যই লকডাউনের এই সিদ্ধান্ত। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী এই পল্লীতে ১৬০০জনের মতো যৌনকর্মী রয়েছেন। তাদের ছেলে মেয়ে এবং পল্লীতে ঘরের মালিক ও দালালসহ আরো ৪০০জনের মতো আছেন। দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে ১৬০০ যৌনকর্মীসহ প্রায় দুহাজার মানুষের বসবাস পুলিশ সুপার মি: রহমান বলেছেন, এই লকডাউনে যেহেতু যৌনকর্মীদের আয় উপার্জন বন্ধ থাকবে, সেকারণে ২০দিন চলার জন্য প্রত্যেক যৌনকর্মীকে ২০কেজি করে চাল এবং তার সাথে পরিমাণমতো ডাল দেয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যৌনপল্লীর সব ঘর মালিক বা বাড়িওয়ালাকে যৌনকর্মীদের কাছ থেকে এই ২০দিনের ভাড়া না নিতে বলা হয়েছে। রাজবাড়ী থেকে স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, সেখানে পুলিশ প্রশাসনের এসব পদক্ষেপের বিষয়গুলো নিয়ে যৌন কর্মীদেেএকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পল্লীর ভেতরে মাইকিং করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস: বাংলাদেশের দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী ২০দিনের জন্য লকডাউন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ওআইসি সম্মেলন সামনে রেখে বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনতে যাচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে এমন প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। ২০১৮ সালের মে মাসে ঢাকায় ওআইসি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এত যোগ দিতে অন্যান্য দেশ থেকে যেসমস্ত অতিথিরা আসবেন তাদের যাতায়াত ও পরিবহনের জন্য এসব গাড়ি আমদানি করবে বাংলাদেশের সরকার। এসব গাড়ি সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হবে । প্রতিটি গাড়ির ক্ষেত্রে কম-বেশি ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার মত খরচ পড়বে বলে জানা গেছে। সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আজ বুধবার এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন সচিব মুন্সি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। বিলাসবহুল এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনার বিষয়ে এখন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেলেই আর কোনও বাধা থাকবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আসা অতিথিদের যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পরিবহন সুবিধা দেয়ার জন্য ৩০টি মার্সিডিজ বেঞ্জ/বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানি প্রয়োজন। এগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবহন কমিশনার) মুন্সি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব এসেছে। সেজন্য আমিরা গাড়িগুলো কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করছি"। মি.আহমেদ আরও বলেন, "বিদেশী অতিথিরা আসবে তাদের সামনে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরাই এর লক্ষ্য। অতিথিরা যারা আসবেন তারা তো উন্নত মডেলের গাড়িতে চলাচল করে অভ্যস্ত। তাদের সুবিধার কথা ভেবেই এই প্রস্তাবটি এসেছে"। এর আগে ১৯৮৩ সালে ওআইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছিল এবং সেসময় টয়োটা ক্রেসিডা গাড়ি কেনা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন মি: আহমেদ। সম্মেলনের পর এসব গাড়ির কি হবে? আইভরি কোস্টের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪তম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী বছর ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের আয়োজন হবে ঢাকায়। কিন্তু সম্মেলন শেষে বহুমূল্য এসব গাড়ি কি করা হবে? পরিকল্পনা অনুসারে কিছু গাড়ি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। কর্মকর্তাদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আমন্ত্রিত অতি গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের জন্য সেসব গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের কেনা গাড়ি অতীতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীদের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার উকিল নোটিশ 'জঙ্গলের মধ্যে টিন-শেড ঘরে আমাকে আটকে রাখে' বিটকয়েনে লেনদেন কতটা নিরাপদ?
ঢাকায় ইসলামী জোট সম্মেলন: অতিথিদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পোস্টারে ছেয়ে গেছে গাজীপুর ভোটারদের পক্ষে টানার জন্য প্রধান দলগুলোর মধ্যে চলছে নানা ধরণের কৌশল ও হিসাব নিকাশ। গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ, এর মধ্যে সাত লক্ষ ভোটারই তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ করেন। আর বাংলাদেশে সাড়ে হাজার পোশাক কারখানার মধ্যে কেবল গাজীপুরেই রয়েছে দেড় হাজারের মত পোশাক কারখানা। ফলে নির্বাচনে পোশাক শ্রমিকদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে বলা হচ্ছে। শনিবার থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানাগুলো। ফলে কাল থেকে হয়তো প্রচারণাও আরেকটু জোরেশোরে চলবে। কিন্তু গাজীপুরে শুক্রবার গিয়ে বোঝা গেছে, স্থানীয় নির্বাচন হলেও জাতীয় রাজনীতির আঁচ সেখানে স্পষ্ট। ইতিমধ্যে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দলীয় কর্মীদের ধর-পাকড় এবং হুমকি দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছেন, অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার কথা, স্থানীয় প্রশাসনও বৈরি আচরণ করছে তার দলের কর্মীদের প্রতি। "আমাদের কর্মীদের ধর-পাকড় করছে, হুমকি দিচ্ছে। আমাদের 'অ্যাসিউর' করেছে হয়রানি হবেনা, কিন্তু তারপরও এটা থামে নাই। আমরা পারছিনা, একদিক সামলালে, আরেক দিক থেকে ধরে। তবে এর মধ্যেই আমরা চেষ্টা করছি। গণ জোয়ার আছে, এর সামনে হয়ত তারা হেরে যেতে পারে।" জলাবদ্ধতা গাজীপুরের বড় সমস্যা মিঃ সরকার বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধর-পাকড়ে ভীত হয়ে কর্মীদের অনেকে আত্মগোপনে বাধ্য হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনী প্রচারণায়। সেই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারে বলেও আশংকা আছে তার। বিএনপি বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। যদিও, এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা একেবারেই অকার্যকর তিনি দাবী করেছেন, গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় কোন ধরণের পক্ষপাত হচ্ছেনা। "লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে কি অপরাধীদের ছাড় দেয়া? সেটা হবে না। গাজীপুরের মানুষ উন্নয়নের জন্য এক হয়েছে, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আমি অনুরোধ করব বিএনপির কেন্দ্রীয় এজেন্ডা এনে এখানে যেন প্রেসক্রিপশন না দেয়া হয়।" এদিকে, ঈদের ছুটির পর এখনো তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কাজ শুরু হয়নি, সেই সঙ্গে ছুটির দিনের সকাল। কিন্তু গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় পৌঁছে মনে হল রীতিমত ব্যস্ত সরগরম এলাকা। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ রিক্সায় মাইক লাগিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া যেমন হচ্ছে, আর মোড়ের চায়ের দোকানেও চলছে জমজমাট আলোচনা। ইস্যু, অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। স্থানীয় একজন সংগঠক বলছিলেন, এ নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির কথাই বেশি হচ্ছে। "প্রথমে ভাবছিলাম এইটা স্থানীয় নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার দলীয় লোকেরা চেষ্টা করতেছে, নির্বাচন নিজেদের পক্ষে নিয়া জাতীয় নির্বাচনে তার প্রভাব রাখতে। কালকে দেখলাম, প্রচারণায় খুলনার মেয়রকে নিয়া আসছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও আসতেছে। আবার ছোট দল যারা, যেমন কম্যুনিস্ট পার্টি তাদের বড় নেতারাও আসে, কিন্তু তারা যদিও প্রভাব রাখার মত না।" এদিকে, নির্বাচনের আগে শেষ শুক্রবার বলে প্রধান প্রার্থীদের সবাই জনসংযোগে ব্যস্ত। কেউ প্রার্থীদের পরিচয় সম্বলিত গান রেকর্ড করে স্থানীয় প্রতিটি বাজার এবং জনসমাগম হয় এমন সব জায়গায় যাচ্ছেন। কেউ মোটর সাইকেল করে শোভাযাত্রার মত করছেন। সবার লক্ষ্য প্রায় বারো লক্ষ ভোটারের সবার কাছে অন্তত একবার করে হলেও যেন পৌঁছানো যায়। উত্তর শালনায় কয়েকজন ভোটার বলছিলেন, তাদের কাছে জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নিয়ন্ত্রণের মত স্থানীয় ইস্যুগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। আরো পড়ুন: মেসির তুলোধোনা আর্জেন্টিনার মিডিয়ায় সৌদি নারীর এখনো যে পাঁচটি বিষয়ে অধিকার নেই
বাংলাদেশে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির আঁচ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। প্রথমে তিনি একজন নামী চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তেমন একটা গুরুত্ব দেননি তাঁর সমস্যাটি সমাধানে। চিকিৎসক বলেছিলেন, এটি আসলে কোন সমস্যাই না। এরই মধ্যে সময় কেটে গেল তিন মাস। অন্য আরেকটি শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিনি যখন ভিন্ন এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, তখন ওই চিকিৎসক তাঁর ক্যান্সার হয়েছে বলে সন্দেহ করেন। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর এই চিকিৎসা হচ্ছে দেশের বাইরে। ক্যান্সার হলেই নিশ্চিত মৃত্যু এমন ধারণা এখনো অনেকের মাঝেই বদ্ধমূল। কিন্তু সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন, আশা করছেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন কিছুদিনের মধ্যেই। সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, ক্যান্সারের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রবল মনোবল নিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এমন একটি পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, দেশটিতে চলতি বছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। ক্যান্সার হওয়ার পর একজন আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের উপর তা কতটা মানসিক চাপ তৈরি করে, সেটি হয়তো বলে বোঝানো খুব কঠিন। অনেকই হাল ছেড়ে দেন। আবার অনেকে লড়াই চালিয়ে যান - সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী সে রকমই একজন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে প্রবল মনোবল নিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। "আমি বরং অন্যদেরকে সান্ত্বনা দিয়েছি। আমার মনোবলটা অটুট ছিল," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক কীভাবে এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব? "প্রথম বার্তাটি হচ্ছে, একেবারেই আতংকিত হওয়া যাবে না। আমরা প্রত্যেকে সবসময় নানা স্ট্রাগলের (সংগ্রাম) ভেতর দিয়ে যাই। সবকিছুর সাথে আমরা যেভাবে লড়াই করি, ক্যান্সারের সাথেও সেভাবে লড়াই করতে হবে," সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর পরামর্শ। "আমি বলবো যে দ্বিগুণ মনোবল নিয়ে লড়াই করতে হবে।" বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা অপ্রতুল। চিকিৎসকরা বলছেন, সময় মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করা গেলে নিরাময়ও সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা যা আছে, তা একদিকে যেমন অপ্রতুল, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদে অনেক ব্যয়বহুল। আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েও পড়ছেন। তবে কেবল ওষুধপত্র নয়, ক্যান্সার নিরাময়ে সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর মতো প্রবল ইচ্ছেশক্তি থাকাটাও দরকার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশের একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আহমেদ সাঈদ বলছেন, এক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং ঔষধ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোগীর মনোবল। ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে যারা বেঁচে আছেন, তাদের উদাহরণগুলো যদি অন্য ক্যান্সার রোগীদের সামনে তুলে ধরা হয়, তাহলে তাঁরা অনুপ্রাণিত হবেন বলে মনে করেন চিকিৎসক আহমেদ সাঈদ। "অনেক রোগী আছে যারা ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে ১৫-২০ বছর ভালো আছেন," বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন তিনি চিকিৎসকরা বলছেন, সময় যেমন বদলেছে তেমনি ক্যান্সার চিকিৎসার নানা পদ্ধতিও আবিষ্কার হয়েছে। সুতরাং ক্যান্সার হলেই নিশ্চিত মৃত্যু - অনেক ক্ষেত্রেই এ ধারণা এখন আর আগের মতো নেই। তবে একই সাথে ক্যান্সার প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরী বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে সচেতনতার মাধ্যমে বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে গেলে তুলকালাম বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফেরতে টাকা দেবার উদ্যোগ
সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর ক্যান্সার যুদ্ধের গল্প: 'দ্বিগুণ মনোবল নিয়ে লড়াই করতে হবে'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
শামীমা বেগম ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। ব্রিটেনের আপিল আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) রায় দিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য তিনি ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন। বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী তাসনিম আখুঞ্জি বলছেন, পুরো বিষয়টা এখন নির্ভর করছে ব্রিটিশ হোম অফিস (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)-এর ওপর। হোম অফিস যদি ব্রিটেনের আপিল আদালতের আজকের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, এবং যেটা করতে হবে আগামী সোমবারের মধ্যে, তাহলে মামলাটা চলে যাবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে। "সুপ্রিম কোর্ট তখন সেই আপিল আবেদন বিবেচনা করবে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই হবে চূড়ান্ত। এবং এটা করতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে," বলছেন মি. আখুঞ্জি। বিশ-বছর বয়সী শামীমা বেগম এবং আরও দু'জন স্কুল ছাত্রী ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট-এ যোগদানের জন্য লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। শামীমা বেগম যখন তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যান তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। সম্পর্কিত খবর: ‘আইএস বধূ’ শামীমা বেগমকে নিয়ে কেন এতো হইচই? 'শামীমা বেগমের বিষয়টি বাংলাদেশের কোন বিষয় নয়' আইএস-এর পতনের পর সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে, সাবেক ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে দেন। মিজ বেগম ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান এই বলে যে, ঐ সিদ্ধান্ত অবৈধ কারণ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছেন। আপিল আদালতের শুনানিতে তার আইনজীবী যুক্তি দেন যে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে না দিলে, উত্তর সিরিয়ার শিবিরে থাকা অবস্থায় মিজ বেগমের পক্ষে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি লড়াই চালানো কার্যত সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কারো নাগরিকত্ব বাতিল তখনই আইনানুগ যখন সেই ব্যক্তি আইনত আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে নিম্ন আদালত রায় দেয় যে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ বৈধ কারণ সে সময় আইনত তিনি ছিলেন ''বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক''। সিরিয়ার ক্যাম্পে অনেক আইএস বধূ এখন বন্দি অবস্থায় আছেন। ধারণা করা হয়, মায়ের নাগরিকত্বের সুবাদে মিস বেগম বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বরাবরই বলে আসছে শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এর আগে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন এবং তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেবার "কোন প্রশ্নই'' ওঠে না। এখন কোথায় আছেন শামীমা বেগম? তাসনিম আখুঞ্জি জানাচ্ছেন, ইরাকের সীমান্তের কাছে সিরিয়ার আলরোজ ক্যাম্পে তিন সন্তানের জননী শামীমা বেগম এখন বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। সেখানে আরও কিছু আইএস বন্দি রয়েছেন জন্মগত-ভাবে যারা বিদেশি। মি. আখুঞ্জি বিবিসিকে বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল। কিন্তু মানসিকভাবে তিনি কেমন আছেন তা জানার কোন উপায় নেই। তিনি জানান, বন্দি থাকা অবস্থায় তারে সাথে পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। "কয়েক মাস পর পর তাকে স্বল্প সময়ের জন্য টেলিফোনে কথা বলতে দেয়া হয়। তাও শুধু তার আইনজীবীর সাথে পরামর্শের জন্য।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: আইএসের হাজার হাজার বিদেশী জিহাদির পরিণতি কি বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট ইসলামিক স্টেটের আনুগত্য স্বীকারকারী এই দশজন কি বাংলাদেশি
অপেক্ষা শেষ হয়নি 'আইএস-বধূ' শামীমা বেগমের
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে উৎপল দাস মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তার পিতা চিত্তরঞ্জন দাস বিবিসিকে উৎপলের সন্ধান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, " সে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় রয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি। উৎপল আসছে বাড়িতে। তার মায়ের সাথেও কথা হয়েছে"। উৎপল দাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঢাকার সাংবাদিক রাজীব আহমদ জানান রাতে হঠাৎ করেই ভাইবারে সচল দেখা যায় উৎপলকে। এরপরই একজন সাংবাদিক তাকে কল দিলে উৎপল দ্বিতীয় দফায় সেটি রিসিভ করেন। এরপর উৎপল জানান যে তিনি নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় রয়েছেন এবং তিনি ভালো আছেন। উৎপল দাসের সন্ধান দাবি করে কর্মসূচিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন মিস্টার আহমদ বলেন পরে তারা বন্ধুরা প্রায় সবাই তার সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং উৎপল জানিয়েছেন যে তিনি তার পরিবারের সাথেও কথা বলেছেন। রাত একটার দিকে উৎপলের আরেক বন্ধু সাংবাদিক এজাজুল হক মুকুল বিবিসিকে জানান খবর পেয়েই রাত সাড়ে বারটার দিকে তারা ভুলতার দিকে রওনা হয়েছেন। এর আগে গত ২৩ শে অক্টোবর উৎপল দাসের বাবা চিত্ত রঞ্জন দাস মতিঝিল থানায় একটি জিডি করেন যেখানে বলা হয় উৎপল তেরো দিন ধরে নিখোঁজ। ওইদিন উৎপলের দুটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবি করা হয় বলেও জানান তার বাবা। এরপর থেকেই মূলত কার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলোনা এবং তার সন্ধান চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করেছে তার সহকর্মী সাংবাদিকরা। আরও পড়ুন উৎপলের জন্মদিনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সন্ধান দাবি ঢাকার সাংবাদিক উৎপল দাসের খোঁজ মিলছে না
বাংলাদেশে সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসের
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
থাম লুয়াং গুহার মুখে উদ্ধার তৎপরতা রোববার ও সোমবার চারজন করে মোট আট জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল, আর আজ বাকি পাঁচজনকেও বের করে এনেছেন উদ্ধারকারীরা। চিয়াং রাই প্রদেশের থ্যাম লুয়াং নামের ওই গুহাটিতে ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ আটকা পড়ে গত ২৩শে জুন। থাই নৌবাহিনীর সীল দল - যারা এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন - তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন. ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচকে বের করে করে আনা হয়েছে, এক অসাধারণ উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে - যার দিকে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল। ফেসবুকে এক পোস্টে দ্য সীল বলেছে - "ওয়াইল্ড বোর (বুনো শূকর) দলের ১২ জন এবং তাদের কোচ এখন গুহার বাইরে। সবাই সুস্থ।" গত দু'দিনের মত আজও উদ্ধারকৃতদের সবাইকেই হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তাদের সাথে গুহার ভেতরে অবস্থান করছিলেন একজন ডাক্তার এবং নৌবাহিনীর তিনজন ডুবুরি। তারা আটকা পড়া শেষজনকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত গুহার ভেতরেই ছিলেন। ইতিমধ্যে তারাও গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং অভিযানটি সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয়েছে। কিভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে আটকা পড়া দলটিকে ? যেভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে থাই গুহায় আটকাপড়াদের রোববার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গুহার ভেতরে আটকা পড়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। ভারী বৃষ্টির পর গুহার ভেতর পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশংকায় রোববারই এই উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক অভিযান - যাতে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া সহ অনেকগুলো দেশের উদ্ধারকারী ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। দক্ষ ডুবুরিরা আটকে পড়া কিশোরদের ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের পানির ভেতর দিয়ে পথ দেখিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে নিয়ে আসেন। প্রত্যেক কিশোরকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মুখোশ পরতে হয়। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি ছিল গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করেন। গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়ে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘন্টা সময় লেগেছে। যেভাবে উদ্ধার করা হলো থাই গুহায় আটকা পড়াদের এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, বাকি পথটা পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে এবং ডুব সাঁতার দিয়ে এগোতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে গুহার ভেতরে, অনেক জায়গা পানিতে ডোবা। পানিতে ডুবে থাকা অংশ প্রায় এক মাইল লম্বা। এর অনেকটা অংশ ডুব সাঁতার ছাড়া পার হবার উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই হচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে। গুহা থেকে একজনকে উদ্ধারের পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হয়। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হয়। এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হয়। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গুহা থেকে বের হওয়ার অপেক্ষায় বাকিরা থাইল্যান্ডের গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান যেভাবে ওরা থাইল্যান্ডের গুহায় পথ হারিয়েছিল
থাই গুহায় আটকাপড়া ১৩ জনের সবাই বেরিয়ে এসেছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ (মাঝে) কংগ্রেসে সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আট বছরে প্রথমবারের মত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ফলে ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবে বাঁধা দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করলো। তবে মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণ দখলে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। আর হাউজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নারী প্রার্থীরা। আরো পড়তে পারেন: আওয়ামী লীগ, ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু ৭৫-এর নভেম্বর: ইতিহাসের উত্তাল ও রক্তাক্ত দিনগুলো খালেদা জিয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন ঐক্যফ্রন্ট কী হচ্ছে হাউজ নির্বাচনে? যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসি'র সহযোগী নেটওয়ার্ক সিবিএস'এর হিসাব অনুযায়ী, কংগ্রেসের নিম্নতর কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৩টি আসনে জয় পাবে ডেমোক্র্যাটরা। হাউজের ৪৩৫ টি আসনের সবকটিতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোট। এখন ডেমোক্র্যাটরা মি. ট্রাম্পের প্রশাসনিক এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করতে পারবে। প্রেসিডেন্টের আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনাতেও বাঁধা দিতে পারবে ডেমোক্র্যাটরা। নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ কংগ্রেসে সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে যোগদান করে ইতিহাস তৈরি করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিনেসাটা এবং মিশিগান রাজ্যের দুই ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদও হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের অংশ। ইলহান ওইমার এবং রাশিদা ত্লাইব মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম স্থানীয় অ্যামেরিকান নারী হিসেবে কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন ক্যানসাস রাজ্যের শারিস ডেভিডস এবং নিউ মেক্সিকো রাজ্যের ডেব্রা হালান্ড। ক্যানসাস থেকে নির্বাচিত হওয়া প্রথম সমকামী কংগ্রেস প্রতিনিধিও মিজ ডেভিডস। মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ? সিনেট নির্বাচনে কী হচ্ছে? কংগ্রেসের ঊর্ধ্বতন কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখলেও সেখানে তাদের অবস্থান খুব একটা শক্ত নয়। সিনেটে তাদের আসন ৫১টি আর ডেমোক্র্যাটদের আসন ৪৯টি। যদিও সিনেট নির্বাচনে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল রিপাবলিকানরা। এবারের সিনেট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের লড়াই করতে হয়েছে ২৬টি আসনের জন্য। সেখানে রিপাবলিকানরা লড়াই করেছে মাত্র ৯টি আসনে। বিবিসি'র প্রতিবেদক অ্যান্থনি যুরখারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাহী এবং বিচারিক ক্ষমতা ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ পাবেন। তবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইন প্রণয়ন বিষয়ক যে কোনো প্রস্তাবে বাধা দেয়ার ক্ষমতা থাকবে তাদের হাতে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন: কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো ডেমোক্র্যাটরা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে কয়েক ধরণের আঞ্চলিক ভাষার প্রচলন রয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা স্মৃতি হাসান তার মা-বাবা আর ভাইবোনদের সঙ্গে নিজ জেলার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেও সন্তানের সঙ্গে সচেতনভাবেই সব সময় প্রমিত বাংলায় কথা বলার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি বলেন যেন তার সন্তান ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং তার কথায় যেন আঞ্চলিকতার টান না থাকে। মিসেস হাসান বলেন, "আমরা যা করবো একটা বাচ্চা তাই শিখবে। আমরা যদি তার শুরুটাই আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে করি। তখন কিন্তু পুরোপুরি শুদ্ধ ভাষা চর্চা করানোটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তখন তার বাইরে পড়ালেখা করতে গিয়ে, কাজ করতে গিয়ে ঝামেলা হবে।" "এজন্য আমরা চেষ্টা করি বাচ্চাকে আগে প্রমিত বাংলা শেখাতে। বড় হলে আমাদের থেকে শুনে শুনে সে এমনেই আঞ্চলিক ভাষা শিখে নিতে পারবে। ওটার জন্য আলাদা কিছু করার প্রয়োজন নেই," বলেন মিসেস হাসান। আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে একুশের আবেগ নেই কেন? ইংরেজি ভাষার দিন কি ফুরিয়ে এসেছে 'গুলিবিদ্ধ বরকত মারা যান আমার চোখের সামনেই' শহরাঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষা চর্চা একেক পরিবারে একেক রকম। তবে উল্টো চিত্র হাসিনা রহমানের পরিবারে। নিজ বাড়ি সিলেটে হলেও সন্তান নিয়ে এখন তিনি বাস করছেন ঢাকায়। পরিবারের সবার সাথে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি, সন্তানদেরও আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেই অভ্যাস করিয়েছেন। যেন তারা তাদের শেকড় সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে পারে। সেই সঙ্গে প্রমিত ভাষা চর্চার ক্ষেত্রেও তিনি সন্তানদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন। "আমরা সিলেটি। বাসাতে আমরা সিলেটি ভাষাতেই কথা বলি। যেন আমার বাচ্চারা নিজেদের এই আঞ্চলিক ভাষাটাকে ধরে রাখতে পারে। এটা যেন ভুলে না যায়। যেহেতু ওদের শিকড়টাই ওইখানে। আর শুদ্ধ ভাষাও শিখাইসি যেন বাইরে সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারে। এক কথায় আমরা সিলেটি আর শুদ্ধ দুটা ভাষাই চর্চা করি।" বাজারের প্রভাবে হারাচ্ছে আঞ্চলিক ভাষা বিশ্বে ভাষাভাষীর সংখ্যার ভিত্তিতে বাংলার স্থান পাঁচ নম্বরে। আর বাংলাদেশে বাংলা ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন জেলায় আঞ্চলিক ভাষার প্রচলন। যেগুলোর প্রত্যেকটির রয়েছে নিজস্ব শব্দকোষ ও রীতি । তাই ভাষা বিচারে সেগুলোও এক একটি স্বতন্ত্র ভাষা বলতে চান বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আঞ্চলিক এই ভাষাগুলো, প্রচলিত মান ভাষার চাইতে অনেকটা ভিন্ন হওয়ায়, অনেক পরিবার আঞ্চলিকের পরিবর্তে প্রমিত বাংলা শেখানোর চেষ্টা করেন এবং এ কারণে আজকাল শহরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা মানুষের অনেকেই স্থানীয় উপভাষাগুলো সেভাবে বলতে পারেন না। এর পেছনে বাজারের বড় একটা প্রভাব আছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, "বর্তমান বাজারের জন্য নিজেকে তৈরি করতে অনেকে আঞ্চলিক ভাষা এড়িয়ে চলে। এটা যে তাদের ঐতিহ্য সেটা ভুলে যায়। আবার অনেকে চান না আঞ্চলিক ভাষায় কেউ কথা বলুক।" "মান ভাষা জানলে যে আঞ্চলিক ভাষা ভুলে যাব। আবার আঞ্চলিক ভাষা বললে যে আমরা মান ভাষা শিখতে পারবো না, এটা ঠিক নয়। তবে হ্যাঁ, এজন্য পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে। সেটাই অনেকে করতে চান না।" বলেন মি. ইসলাম। সাহিত্য চর্চায় যুগ যুগ ধরে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাহিত্য চর্চায় শুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষা, বিকৃত মিডিয়া ভাষা নয় শুধু যে কথাবার্তার চর্চায় এই আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হয় বিষয়টা তেমন নয়। অনেক সাহিত্য, কবিতা, গান ও নাটকে যুগ যুগ ধরে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার হয়ে আসছে। সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমানের মতো বোদ্ধারাও আঞ্চলিক ভাষায় অনেক সাহিত্য রচনা করেছেন। এই আঞ্চলিকতার কারণে বাংলা ভাষা আরও নতুন নতুন শব্দে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করেন মি. ইসলাম। তবে তিনি এক্ষেত্রে বলেছেন শুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষার কথা। আঞ্চলিকতার নামে ভাষার বিকৃত রূপের কথা নয়। মি. ইসলাম বলেন, "আঞ্চলিক ভাষার সাথে মান ভাষার কোন বিরোধ নেই। আঞ্চলিক ভাষার এই বৈচিত্র্য ভাষাকে শক্তিশালী করে, সমৃদ্ধ করে। তবে আঞ্চলিক ভাষার একটা শুদ্ধ রূপ আছে, যেটা সাহিত্যে এলেও ক্ষতি নেই।" "কিন্তু এখন যে মিডিয়ার ভাষা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আইতাসি যাইতাসি ধরণের ভাষা। এগুলো কিন্তু কোন আঞ্চলিক ভাষা নয়। এই মিডিয়ার ভাষার কারণে আঞ্চলিক ভাষাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এই বিকৃত মিডিয়ার ভাষা শিখে ফেলছে।" বলেন মি. ইসলাম। ভাষার এই শুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ টিকিয়ে রাখতে প্রত্যেকে যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাষার ব্যবহারে সচেতন হয়; সেইসঙ্গে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেইসঙ্গে, সংস্কৃতি-সাহিত্য চর্চা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা এগিয়ে আসলে বাংলা ভাষার এই বৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলা ভাষা: আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে কতোটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে 'লল' কিন্তু এখন এক জরিপ বলছে, 'ই-হাসি'-র ভাষা বদলে যাচ্ছে, অন্তত আমেরিকায়। ফেসবুকে 'লল' জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, তার জায়গা নিয়েছে সহজ-সরল 'haha' অথবা ইমোজির হাসিমুখ। ফেসবুকই গত সপ্তাহে এই যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জরিপ রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে - যার উদ্দেশ্য ছিল অনলাইনে লোকে কিভাবে হাসে, এবং বয়স, লিঙ্গ ও ভৌগলিক বৈশ্ষ্ট্যি অনুযায়ী এই আমোদ প্রকাশের রীতিতে কি পরিবর্তন হয় - তার একটা বিশ্লেষণ হাজির করা। দেথা যাচ্ছে বর্তমানে ই-হাসি বোঝাতে 'লল' ব্যবহার করছেন মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় 'haha' - ব্যবহার করেন ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর পর রয়েছে ইমোজি - যা ব্যবহার করছেন ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে 'hehe' - ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। আরো দেখা গেছে, এখন যারা 'লল' ব্যবহার করছেন তারা তুলনামূলকভাবে বয়স্ক। সুতরাং, যদি ফেসবুকে যদি নিজেকে তরুণতর দেখাতে চান তাহলে 'লল' দিয়ে আর চলবে না - আপনাকে ব্যবহার করতে হবে 'হাহা' 'হেহে' বা 'সচিত্র' হাসিমুখ ইমোজি। আরো জেনে রাখুন, ছেলেরা বেশি হাসে 'হেহে' করে, আর মেয়েরা বেশির ভাগই 'হাহা' করে হাসে। মে মাসে আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য জুড়ে এক সপ্তাহের পোস্ট ও মন্তব্যের ওপর জরিপ চালিয়ে ফেসবুক এই পরিসংখ্যানে উপনীত হয়।
ফেসবুক-হাসি: জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে 'লল', উঠছে 'হাহা'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
কায়রোর উত্তরের একটি প্রদেশের স্কুলের শিশুরা নতুন বছর শুরু করবে তাদের প্রিয় ডিজনি চরিত্র মিকি মাউসকে বাদ দিয়ে কোয়ালিউবিয়া প্রদেশের গভর্নর ডিক্রি জারি করেছেন যার ফলে জনপ্রিয় কার্টুন ক্যারেকটার মিকি মাউস এবং তার বন্ধুদের ইমেজের পরিবর্তে প্রি স্কুলের দেয়ালে "সেনাবাহিনীর নায়কদের" ছবি লাগাতে হবে। গভর্নর আলা আব্দুল হালিম মোহাম্মদ মারজুক সংবাদদাতাদের বলেছেন "মিকি মাউস এবং ডোনাল্ড ডাকের ইমেজ পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর যারা বীরত্ব দেখিয়ে নিহত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ছবি দেয়া প্রয়োজন। যাতে করে শিশুরা তাদেরকে রোল মডেল হিসেবে দেখে"। তিনি আরো বলেন, এই কার্টুন চরিত্রগুলো আমেরিকার তৈরি। যেখানে আমাদের দেশেই বিখ্যাত ব্যক্তিরা রয়েছেন, তাদেরকে দেখলে শিশুদের দেশপ্রেম আরো বাড়বে। শিক্ষা-মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, একটা কমিটি পর্যবেক্ষণ করবে কীভাবে পুরো প্রদেশে গভর্নরের এই আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি যিনি নিজেও সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল ছিলেন, তিনি সব সময়ই সেনাবাহিনী জীবন, সাধারণ মানুষের মাঝে বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিতর্ক ডিজনি চরিত্র মিকি মাউস অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এত অল্প বয়সের শিশুদের জন্য এটার কি প্রয়োজন ছিল? গভর্নরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছেন। তারা বলছেন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল মিকি মাউসের দিকে নজর না দিয়ে ভাঙ্গাচোরা ক্লাসরুম এবং পুরোনো ধাঁচের শিক্ষা পদ্ধতির দিকে নজর দিতে। একজন টুইট করেছেন "আমি জানি না কি বলা উচিত। আমি স্কুলে যাওয়ার আগেই পড়তে শিখেছি আর সেটা শিখেছি মিকি ম্যাগাজিনের জন্য। যেটা আমি এখনো পড়ি"। সাংবাদিক মোহামেদ রাগাব লিখেছেন "কেউ একজন মাননীয় গভর্নরকে বলবেন তার এই সিদ্ধান্ত তাকে একটা কার্টুন ক্যারেক্টারে পরিণত করবে"। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন "মৃত-ব্যক্তিদের ছবি স্কুলের দেয়ালে টাঙ্গানোর দরকার কি? আমাদের শিশুরা কি করেছে যে এটা তাদেরকে নিতে হবে?" কিন্তু অল্প কিছু মানুষ আবার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন "এটা একটা ভালো দিক যে আমাদের শিশুরা আমাদের শহীদদের সম্পর্কে যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে"। ২০১৫ সালে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মিকি মাউসের কানের সাথে প্রেসিডেন্ট সিসির ছবি ফটোশপ করার জন্য তিন বছরের জেল হয়েছিল। অনেকেই বলছেন সামনের বছরে তাই মিকি মাউস মিশরে একটা বড় বিতর্কের বিষয় হলেও হতে পারে।
মিশরের স্কুল থেকে মিকি মাউস কেন বাদ দেয়া হচ্ছে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সুখী দেশের তালিকায় ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশে জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেনমার্ক রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এরপরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ আছে তালিকার ১০১ নম্বরে। এর আগের জরিপে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭তম। সে হিসেবে বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়েছে। তবে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে কতোটা সুখী সেটার গড় মূল্যায়ণে বাংলাদেশ তার প্রাপ্ত স্কোর অনুযায়ী তালিকার ৬৮ নম্বরে স্থান পেয়েছে। যা ২০১৭-২০১৯ সালের স্কোরের চাইতে ৯ ধাপ এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে আগের অবস্থান থেকে চার ধাপ পিছিয়েছে যুক্তরাজ্য। আগে তার অবস্থায় ১৩তে, থাকলেও ২০২০ সালের এই প্রতিবেদনে তা ১৭-তে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া তালিকার ১৯তম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। হ্যাপিনেস র‍্যাংকিং-এ শীর্ষ ১০ এর তালিকায় থাকা একমাত্র নিউজিল্যান্ডই একমাত্র অ-ইউরোপীয় দেশ। অ্যানালেটিক রিসার্চ গ্যালাপ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এবারে নবমবারের মতো হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশিত হল। মূলত ১৪৯টি দেশের মানুষজনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তাদের সুখ পরিমাপ করা হয়েছে। সুখের পরিমাপক হিসেবে, দেশটির সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির মাত্রা বিষয়গুলোকে সামনে রাখা হয়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষের সার্বিক পরিস্থিতিকে। এসব মানদণ্ডে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই রয়েছে লেসোথো, বোতসোয়ানা, রুয়ান্ডা এবং জিম্বাবুয়ে। মহামারির কারণে বিশ্বে মানুষে সুখের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪৯টি দেশের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে "নেতিবাচক আবেগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।" তবে, ২২টি দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভাল হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ রাগ এবং ঘৃণার প্রকাশ মানুষকে সুখী করে! পর পর চার বছর, সবচেয়ে সুখী দেশের শীর্ষ ফিনল্যান্ড। আগের বছরের র‌্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থান বেশ ভালো। এরমধ্যে বাংলাদেশ যেমন আছে, তেমনি চীন ৯৪ তম থেকে ৮৪ তম স্থানে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ১০ ধাপ এগিয়েছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের পরেই ভারতের অবস্থান। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৩৯তম অবস্থানে। ১২৯ তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, সামরিক অভ্যুত্থান ও গণ আন্দোলনের জোয়ারে ভাসা মিয়ানমার আছে তালিকার ১২৬-এ এবং ১০৫ তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। "আশ্চর্যের বিষয় হল এই জরিপে অংশ নেয়া প্রত্যেকেই যখন তাদের নিজের জীবন দিয়ে সুখ মূল্যায়ন করলেও, তাদের গড় ভালো থাকা বা সুস্থ থাকার ব্যাপারটি কমেনি। জন হেলিওয়েল, এ কথা বলেছেন। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে সাধারণ মানুষ হয়তো কোভিড -১৯ কে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে মেনে নিয়েছে। এই সময়ে বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রত্যেকে প্রভাবিত করেছে এবং এটি মানুষের সাথে মানুষের সংহতি এবং সহানুভূতির বাড়িয়ে তুলেছে। ফিনল্যান্ড "মহামারিকালীন জীবন ও জীবিকা রক্ষা সেইসঙ্গে পারস্পরিক আস্থার মানদণ্ডে সবচেয়ে উচ্চ অবস্থান অর্জন করেছে", প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার নর্ডিক দেশটি মহামারিকালীন ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর চাইতে অনেক বেশি ভালভাবে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮০৫ জন। প্রতিবেদন অনুসারে, দশটি সুখী দেশ হল: ১. ফিনল্যান্ড ২. ডেনমার্ক ৩. সুইজারল্যান্ড ৪. আইসল্যান্ড ৫. নেদারল্যান্ডস ৬. নরওয়ে ৭. সুইডেন ৮. লুক্সেমবার্গ ৯. নিউজিল্যান্ড ১০. অস্ট্রিয়া
সুখী দেশ: তালিকার শীর্ষে আবারো ফিনল্যান্ড, এগিয়েছে বাংলাদেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সামার বাদাওয়ি (মাঝে) সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সাথে এর আগে সৌদি আরবে সম্প্রতি এক অভিযানে আটক করা মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দাবি করে কানাডা। এদের একজন হচ্ছেন সৌদি-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাওয়ি - যিনি সৌদি আরবের পুরুষ অভিভাবকত্ব পদ্ধতির অবসান দাবি করেছিলেন এমন কয়েকজনের অন্যতম। এ দাবির পরই সৌদি কর্তৃপক্ষের টার্গেটে পরিণত হন তারা। কানাডার বক্তব্যের জবাবে তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ছাড়াও সৌদি আরব অটোয়া থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরে আসারও নির্দেশ দিয়েছে। সৌদি আরব ত্যাগ করার জন্য কানাডীয় রাষ্ট্রদূতকে মাত্র ২৫ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে কানাডা বলেছে, সম্প্রতি সৌদি আরবে যেভাবে নারী এবং মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে - তাতে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কানাডা তাদের মুক্তিরও দাবি জানায়। কিন্তু সৌদি আরব বলছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নগ্ন হস্তক্ষেপ, এবং তারা কানাডার সাথে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্কও স্থগিত করছে। এ নিয়ে কানাডা বলেছে, সৌদি আরবের পদক্ষেপ গুলোর ব্যাপারে তারা আরো ব্যাখ্যা চেয়েছে, তবে তারা মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে তারা সব সময়ই কথা বলবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সৌদি নারীর এখনো যে পাঁচটি বিষয়ে অধিকার নেই ‘সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ রূপকথার রাজপুত্র নন’ সৌদি নারীদের ড্রাইভিং: দৃষ্টিভঙ্গি কতটা বদলেছে? টুইটারে কানাডার বিবৃতি কিন্তু রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সরকার কতটা আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। তিনি মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতির মতো এমন সব সংস্কারের উদ্যোগ নিযেছেন - যা মিডিয়ায় বড় বড় হেডলাইন হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি ভিন্নতম সহ্য করবেন না। মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একজন পরিচালক সামাহ হাদিদ এ ব্যাপারে বলেছেন, সৌদি আরব মুখে সংস্কারের কথা বললেও এ ঘটনায় তাদের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। ২৪শে জুন থেকে নারীর গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে তিনি বলেন, "সাম্প্রতিক এই নারী অধিকার কর্মী - যাদের অনেকেই গাড়ি চালানোর অধিকার দাবি করেছিলেন - তাদর এভাবে গ্রেফতার করাটা সৌদি আরব সংস্কার কর্মসূচির কথা বলছে, স্পষ্টতই তার বিপরীত এক ঘটনা। এ সব কর্মসূচি আসলে জনসংযোগের বেশি কিছু নয়।" "যদি আপনি এসব শান্তিপ্রিয় কর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সরকারের সমালোচকদের গ্রেফতারের দিকে তাকান তাহলে বোঝা যায় যে এসব সংস্কার এবং নারী অধিকারের অঙ্গীকার ফাঁকা বুলি মাত্র।" এ ছাড়া সৌদি আরবের একজন নেতৃস্থানীয় নারী অধিকার কর্মী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা এসব গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কানাডার সাথে কণ্ঠ মেলান। মানাল আল-শরিফ নামে এই অধিকারকর্মী - কানাডা যেভাবে সৌদি আরবের সমালোচনা করেছে তার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ দেন। আরও পড়ুন: জিগাতলা-সায়েন্স ল্যাব 'ঠান্ডা', অশান্ত বাড্ডা শহীদুল আলমকে আটকের কারণ জানে না পরিবার 'শহীদুল আলমকে একদল লোক তুলে নিয়ে গেছে' নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
রিয়াদে কানাডার রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার, কেন এত ক্ষেপেছে সৌদি আরব
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জীবদ্দশায় ম্যাগনোলিয়া গাছটি ৩৩ জন প্রেসিডেন্টের শাসনামল দেখেছে, সেই সঙ্গে দেখেছে আমেরিকান গৃহযুদ্ধ আর দুইটি বিশ্বযুদ্ধ জ্যাকসন ম্যাগনোলিয়া নামের এই গাছটি লাগিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন তার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী র‍্যাচেল জ্যাকসনের স্মরণে । হোয়াইট হাউজে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার পেছনের দৃশ্যে যেমন এই গাছটিকে দেখা যায়, তেমনি একসময় বিশ ডলারের নোটেও গাছটির ছবি ছিল। টেনিসির খামার থেকে র‍্যাচেল জ্যাকসনের প্রিয় ম্যাগনোলিয়া গাছের একটি অংশ এনে হোয়াইট হাউজে লাগানো হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: 'সৌদি আরবে নারী শ্রমিকের পরিবেশের পরিবর্তন হচ্ছে' কে ছিলেন ইন্তিফাদার সেই কালো পোশাক পরা তরুণী? জীবদ্দশায় গাছটি ৩৩ জন প্রেসিডেন্টের শাসনামল দেখেছে, সেই সঙ্গে আমেরিকান গৃহযুদ্ধ আর দুইটি বিশ্বযুদ্ধেরও প্রত্যক্ষদর্শী এই গাছ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এই গাছটি খুবই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেটি রাখা নিরাপদও নয়। তাই ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের অনুরোধে গাছটির বড় একটি অংশই কেটে ফেলা হবে। ১৯৭০ সালে গাছটির একটি বড় অংশ প্রথমবার ভেঙ্গে পড়ে। তখন সেটি সিমেন্ট দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। এর বছর দশেক পর গাছটি রক্ষা করতে বড় পোল আর তার দিয়ে বেধে দেয়া হয় হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলছেন, মিসেস ট্রাম্প অনুরোধ করেছেন যেন গাছটির বীজ রক্ষা করা হয়। ফলে খালি জায়গায় নতুন একটি গাছ লাগানো সম্ভব হবে। তিনি বলছেন, মিসেস ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ তার মতে এই গাছটি দর্শনার্থী আর সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হেলিকপ্টার ওঠানামার সময় প্রায়ই এই গাছটির সামনে দাড়িয়ে থাকেন। ১৯৭০ সালে গাছটির একটি বড় অংশ প্রথমবার ভেঙ্গে পড়ে। তখন সেটি সিমেন্ট দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। এর বছর দশেক পর গাছটি রক্ষা করতে বড় পোল আর তার দিয়ে বেধে দেয়া হয়। প্রথমে দেখে স্বাভাবিক মনে হলেও, কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে খবর প্রকাশিত হয় যে, গাছটি পুরোপুরি কৃত্রিম সহায়তায় টিকে আছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: জেরুসালেমে 'ট্রাম্প স্টেশন' বানাবে ইসরায়েল সাইবেরিয়ার গহীনে রুশরা যেভাবে গড়েছিল বিজ্ঞাননগরী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের 'যৌনদাসী' বিতর্ক কেন আবার সামনে ক্রিকেটারদের 'বিপ টেস্ট' মূলত কী?
অবশেষে কাটা পড়ছে হোয়াইট হাউজের বিখ্যাত 'ম্যাগনোলিয়া' গাছ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে সেগুলোকে আপনি গোলাকৃতির আদুরে বল মনে করলেও তাদের এই আকৃতি আসলে প্রকৃতিতে তাদের টিকে থাকতে সহায়তা করে। প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোলগাল কয়েকটি প্রাণীর তালিকা দেয়া হলো এখানে। রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ পাফার ফিশ/ পটকা মাছ আমাদের তালিকার শুরেুতেই রয়েছে পাফার ফিশ পরিবার (টেট্রাওডোনটিডায়ে), যারা পটকা মাছ নামেও পরিচিত। এই গোলাকার মাছ আত্মরক্ষার্থে বলের মত বৃত্তাকার আকার ধারণ করতে পারে। নিজেদের ইলাস্টিকের মত পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবেশ করিয়ে তারা এই আকৃতি ধারণ করতে পারে। এর ফলে তাদেরকে খুবই কম আকর্ষণীয় মনে হয়, সেসময় এই মাছের আকৃতি দেখে মনে হয় যে এটি খেতেও কঠিন। বল আকৃতির এই মাছগুলো দেখতে ভাল লাগেও এটিকে ছোঁয়া একেবারেই উচিত নয়। দুইশো'রও বেশি জাতের পটকা মাছের অধিকাংশের মধ্যেই টেট্রোডোটক্সিন নামের এক ধরনের বিষ রয়েছে, যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। আরমাডিলোরা 'আরমার' বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ আরমাডিলো স্প্যানিশ ভাষায় আরমাডিলো শব্দের অর্থ 'বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী।' পৃথিবীতে মোট ২১ ধরণের আরমাডিলো রয়েছে যাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রটির নাম 'গোলাপী পরী আরমাডিলো' (ক্ল্যামিফোরাস ট্রাঙ্ক্যাটাস), যার দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে হয়। আরমাডিলোরা দিনে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। এছাড়া প্রাণী হিসেবে তাদের যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতনও বলতে পারেন। লাল, হলুদ, কালো, গোলাপী - এমন নানা রঙয়ের আরমাডিলো হয়ে থাকে। প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে টওনি আওল/পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাওয়া সাধারণ প্যাঁচাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির প্যাঁচা হলো টওনি আওল বা পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা। এই প্যঁচাগুলোর নরম, গোলাকার মাথা থাকে যেটি তারা ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে পারে। প্রজননের সময় এই ধরণের পুরুষ প্যাঁচা শুরুতে স্ত্রী প্যাঁচাকে দীর্ঘ 'হুউউ' ডাকে ডাক দেয়। এরপর অপেক্ষাকৃত কম দীর্ঘ 'হু' এবং সবশেশে 'হুহুহোওওওও' ডাক দিয়ে শেষ করে। জবাবে স্ত্রী প্যাঁচা 'কী-উইক' ডাকে জবাব দেয়। দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে সিল সিল সাধারণত একা থাকলেও প্রজননের মৌসুমে একত্রিত হয়। এই বৃত্তাকার মাছ গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে। তবে কখনো কখনো তারা ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও সাঁতারাতে সক্ষম হয়। এই ধরণের সিল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয় হেজহগ হেজহগ অনেকটা সজারুর মত দেখতে একটি প্রাণী, নিজেকে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এর পিঠে অনেকগুলো কাঁটার মত থাকে। বৃত্তাকার হওয়ায় শরীরের কাঁটামুক্ত অংশগুলো রক্ষা করতে সুবিধা হয় এর জন্য। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় ১৫ ধরণের হেজহগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবকটিই নিশাচর।
পৃথিবীর সবচেয়ে গোলগাল প্রাণী কি এগুলোই?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গত বছরের অগাস্টে নিজারে হামলায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চোম্বাঙ্গু গ্রামে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। আহত হয়েছেন ১৭ জন। অন্যদিকে জারোমদারে গ্রামে হামলায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এই দুটি গ্রামের অবস্থান দেশটির পশ্চিমে মালি সীমান্তের কাছে। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার জঙ্গি হামলার মতো ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ফ্রান্স জানিয়েছে যে, মালিতে নিযুক্ত তাদের দুই সেনাও নিহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে, আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী জানায় যে, সোমবার মালিতে পৃথক আরেকটি হামলায় তিন ফরাসি সেনা নিহতের পেছনে তাদের হাত ছিল। পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে একটি জোট গঠন করে, নেতৃত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স। তবে নিজার এবং মালির মতো দেশগুলো প্রতিনিয়ত জাতিগত সহিংসতা, মানবপাচার, মাদক চোরাচালান এবং ডাকাতির শিকার হয়ে আসছে। নিজারের দুটি গ্রামে সর্বশেষ হামলার খবরটি সরকারি ফরাসি আরএফআই-এর সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাছে আলহাদা জানান, ওই অঞ্চলটির সুরক্ষায় সৈন্য পাঠানো হয়েছে। দেশগুলির টিলাবেরি অঞ্চল, যেখানে গ্রামগুলো অবস্থিত, সেখানে ২০১৭ সাল থেকেই জরুরি অবস্থা চলছে। এবং পুরো নিজারজুড়ে জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও পড়তে পারেন: মোজাম্বিকে গ্রামবাসীদের 'নির্বিচারে হত্যা' করেছে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা হোলি আর্টিজান হামলা: সাতজনের মৃত্যুদণ্ড আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন জঙ্গি মতাদর্শ ঠেকাতে বাংলাদেশ কতটুকু চেষ্টা করছে? গত মাসে নাইজেরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠী বোকো হারাম দক্ষিণ-পূর্ব ডিফফা অঞ্চলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৭ জনকে হত্যা করেছে। নিজারে জাতীয় নির্বাচনের মধ্যেই ওই দুটি গ্রামে সবশেষ এই হামলার ঘটনা ঘটলো। দুই দফায় পাঁচ বছর করে মেয়াদ শেষে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহামাদৌ ইসৌফু এবার পদত্যাগ করেছেন।
নিজারের গ্রামে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীদের হামলায় প্রায় '৭৯ জন নিহত'
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
তিনি বলেন, "এখনো গ্রামের অনেক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। তারপর ইলিশ রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।" দু‌হাজার বিশ সালের অক্টোবরে সরকার দুই বছরের মধ্যে এক লাখ টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সে অবস্থান থেকে সরে আসার যে ইঙ্গিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর কথায় পাওয়া যাচ্ছে তাতে ধারণা করা যাচ্ছে যে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সরকারের মধ্যে ভিন্ন মতামত রয়েছে। কেন এখুনি ইলিশ রপ্তানি চায় না সরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলছেন, বাংলাদেশে ২০১০ সালে দেশীয় মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন, যা এখন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। তিনি জানান, ২০১০ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিক টন, এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন। "পরিস্থিতি এখনকার মত চললে আগামী দুই বছরের মধ্যে উৎপাদন সাত লক্ষ টনে পৌঁছাবে," তিনি বলেন। বাংলাদেশ এখন ইলিশ উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। মন্ত্রী বলছেন, "যেভাবে উৎপাদন বেড়েছে তারপরেও দেশের সব মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না। আমার মনে হয় আগে দেশের সব মানুষের কাছে ইলিশ পৌঁছাতে চাই আমরা, তার পর রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।" আরো পড়তে পারেন: অস্বাভাবিক হারে ধরা পড়ছে ইলিশ, এটা কি নতুন মৌসুম? ইলিশ গাইড: নদীর ইলিশ যেভাবে চিনবেন কম দামে ইলিশ আর কতদিন পাওয়া যাবে? ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কীভাবে বাড়িয়েছে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ইলিশ সংরক্ষণের উদ্যোগের সুফল মিললো পাঙ্গাসেও তবে, এখন মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেয়া, জাটকা নিধন বন্ধ করার মত উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রাখা গেলে ইলিশ আরো অনেক বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। মি. করিম বলেন, "এজন্য আগামী পাঁচ বছর ইলিশ রপ্তানি করাকে আমি ও আমার মন্ত্রণালয় যৌক্তিক মনে করি না।" কিন্তু অক্টোবরে দু'বছরের মধ্যে এক লাখ টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা সরকার কীভাবে করেছিল? এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেয়, সে সিদ্ধান্ত আমরা নেই না। "কিন্তু আমরা আমাদের মতামত ইতিমধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।" রপ্তানির জন্য যথেষ্ট ইলিশ কি আছে? বাংলাদেশে ২০১২ সালে সরকার ইলিশসহ সব ধরনের কাঁচা মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু পরে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ইলিশ মাছ বাদে অন্য মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। বাংলাদেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে এরপর ২০১৪ সালে ভারত থেকে ইলিশ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। সে সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইলিশের রপ্তানি মূল্যও নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি। গত বছর সালে শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের নয়টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে এক মাসের জন্য পূজা স্পেশাল হিসেবে ১,৪৭৫ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। সীমিত আকারে ওই রপ্তানি করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল, এবং রপ্তানির জন্য মাছের আকার ৮০০ থেকে ১২০০ গ্রামে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়। এদিকে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবার প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে দেশের চাহিদা পূরণের পর ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে এমন একটি সুপারিশ দেয়া হয়। মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের ইলিশ বিষয়ক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান বলছেন, "অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ে দেশে ইলিশের উৎপাদন অনেক বাড়ে, যে কারণে একটা অংশ ওই সময় অবৈধ পথে পাচার হয়ে যায়। সে কারণে আমরা বলেছিলাম যে দেশের চাহিদা মেটানোর পর ওই সময়ে ইলিশ রপ্তানি করা যায়। " বিশেষজ্ঞরা বলেন নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি এছাড়া মহামারির মধ্যে পানিতে দূষণের মাত্রা কম থাকায় এবং মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য গত কয়েক বছর থেকে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরার ওপরে যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে, তার ফলে আসছে বছরে মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু মৎস্য মন্ত্রী মি. করিম বলছেন, উৎপাদন বাড়লেও এখনো দেশের সব মানুষ ইলিশ খেতে পারছে না। সেক্ষেত্রে একটি বাধা ইলিশের দাম। গ্রাম পর্যায়ে এখনো ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেন অনেকে। মন্ত্রী বলেন, "এক্ষেত্রে ইলিশের বাজার ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে, সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ একদিকে মানুষ দাম বেশি বলছে, আবার জেলেরা পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না—এমন অভিযোগও রয়েছে।" মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই মূহুর্তে কেবল ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে সীমিত পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। এর বাইরে হিমায়িত মাছ হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে থাকেন সেখানে কিছু কিছু ইলিশ পাঠানো হয়। তবে, ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মৎস্য রপ্তানিকারকেরা আবেদন করছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
৫ বছর রপ্তানি বন্ধ রেখে গ্রামের মানুষদের ইলিশ মাছ খাওয়াতে চায় সরকার
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর করা অত্যাচার উপেক্ষা করায় ব্যাপক সমালোচিত হন সু চি সু চি'কে এই খেতাব দেয়ার প্রতিবাদে গত মাসে পপ তারকা বব গেল্ডফ তাঁর 'ফ্রিডম অব ডাবলিন' পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো অত্যাচার উপেক্ষা করার অভিযোগ করা হয়েছে সু চি'র বিরুদ্ধে; সাম্প্রতিক সহিংসতা এড়াতে ৫ লক্ষেরও বেশী মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের সরকারি বার্তাসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৬২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সু চি'কে তালিকা থেকে অপসারণের পক্ষে ভোট দেন ৫৯ জন। এর আগে নভেম্বরে সু চি'র 'ফ্রিডম অব দি সিটি' খেতাব প্রত্যাহার করে নেয় ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল। অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ'স কলেজ, যেখানে সু চি পড়াশোনা করেছেন, সেখান থেকে তার ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়। আরো পড়তে পারেন অপরাধ আদালতে কি নেয়া যাবে মিয়ানমারকে? ইউটিউবে খেলনা দেখিয়ে কোটিপতি ছয় বছরের রায়ান নিউইয়র্ক হামলাঃ ঢাকার যে বাড়ি ঘিরে সবার কৌতূহল
সু চি’র খেতাব প্রত্যাহার করলো ডাবলিন সিটি কাউন্সিল
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
২০১৮ সালের ওই ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন ধরে শহরটিকে বিক্ষোভে অচল করে রাখে (ফাইল ছবি) নিহত রাজীবের বোন রোকসানা আক্তার বিবিসিকে এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালত ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া বাস মালিক এবং একজন সহকারীকে খালাস দেয়া হয়েছে। গত বছর ২৯শে জুলাই ওই বাস দুর্ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ গড়ে উঠেছিল। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাস করে। এর আগে ১৪ই নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পয়লা ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৯শে জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতায় বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম। আরো পড়তে পারেন: সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: টাকার অঙ্কে জীবনের মূল্য আসলে কত? সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে, পক্ষে বিপক্ষে যতো কথা সড়ক আইন: 'সংস্কারের দাবিতে' কিছু জেলায় ধর্মঘট আহত হয় আরও অন্তত ১২ শিক্ষার্থী। ঘটনার দিনই নিহত দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক, দুইটি বাসের দুইজন চালক এবং চালকের সহকারীসহ আসামি মোট ছয়জন। এদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
সড়ক নিরাপত্তা: ২০১৮ সালে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দুই বাস চালকের যাবজ্জীবন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পার্সোনাল ল-তে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতের মুম্বাইতে মুসলিমদের বিক্ষোভ সমাবেশ (ফাইল চিত্র) পাঁচ ধর্মের পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে মন্তব্য করেছে, এই প্রথা কোনও ধর্মীয় রীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হতে পারে না। বেঞ্চের অন্তত তিনজন বিচারপতি তাদের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট বলেছেন, তিন তালাকের প্রথা তাদের মতে কোরান-বিরোধী এবং সে কারণেই এটাকে তারা কিছুতেই ইসলাম-সম্মত বলে মানতে পারছেন না। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি জাস্টিস কুরিয়েন জোসেফ তার রায়ে একের পর এক কোরানের আয়াত উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেছেন তার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে 'কোরান কিছুতেই তিন তালাকের রীতিকে সমর্থন করে না'। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ছমাসের জন্য তিন তালাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই সময়সীমার মধ্যে পার্লামেন্টকে তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করার জন্যও বলেছে। সরকারও আদালতে তিন তালাক প্রথা বিলোপের জন্যই সওয়াল করেছিল, যদিও ভারতের মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের যুক্তি ছিল ধর্মীয় বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তিন তালাকের বিরুদ্ধে মোট সাতটি পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে আরও দেখুন: ভারতে তিন তালাক প্রথা বাতিলে পাঁচ নারীর লড়াই যেভাবে তিনি 'নায়ক রাজ' হয়ে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় চার নরখাদকের বিচার ভারতের মুসলিম সমাজে প্রায় চোদ্দোশো বছর ধরে পরপর তিনবার তালাক উচ্চারণের মাধ্যমে স্ত্রী-কে বিচ্ছেদ দেওয়ার যে প্রথা চালু আছে, তার বিরুদ্ধে আদালতে মুসলিম মহিলাদের পক্ষ থেকে মোট সাতটি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে এমন একজন তালাকপ্রাপ্ত নারীও ছিলেন, যাকে তার স্বামী তালাক দিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে। কিন্তু তিন তালাকে কোর্টের হস্তক্ষেপে প্রতিবাদ জানায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড - যাদের যুক্তি ছিল এটা মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি। এদিনের রায়ের পর ল বোর্ডের অন্যতম আইনজীবী ইজাজ মকবুল জানান, "রায়ে গরিষ্ঠ সংখ্যক বিচারক, জাস্টিস কুরিয়েন জোসেফ, জাস্টিস আর এফ নরিম্যান ও জাস্টিস উদয় ললিত মন্তব্য করেছেন তিন তালাক অসাংবিধানিক। তবে বাকি দুজন, চিফ জাস্টিস কেহর ও জাস্টিস নাজির আহমেদের বক্তব্য ছিল ভারতীয় মুসলিমদের ধর্মীয় রীতির অংশ এই প্রথা - আর তাতে সংস্কার আনতে গেলে আইন করেই তা করতে হবে।" "ফলে ছমাসের মধ্যে সেটা করতে তারা পার্লামেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন ও সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের তিন তালাক প্রয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তবে এটা শুধু ইনস্ট্যান্ট তিন তালাকের জন্য প্রযোজ্য - তিন মাস ধরে বা ধাপে ধাপে যে তালাকের প্রথা, তালাকে এহসান বা তালাকে-হাসান সেগুলো যথারীতি চালু থাকবে।" সুপ্রিম কোর্টের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন পাঁচটি ধর্মের বিচারপতিরা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের খুঁটিনাটি পড়েই তারা বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবেন। তবে সরকারের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সমস্বরে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের ওপর দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবিচারের অবসান ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় মুসিলম মহিলা আন্দোলনের জাকিয়া সুমান বহু বছর ধরে তিন তালাক বিলোপ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এদিনের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, "মুসলিম সমাজে সংস্কার আর গণতন্ত্র আনার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হবে এই রায়।" "সাধারণ মুসলিম নারীরাও আজ তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন হচ্ছেন, তাই আমি আশাবাদী। এদেশে যদি সতীদাহ, পণপ্রথা বা পারিবারিক হিংসার বিরুদ্ধে আইন হতে পারে তাহলে তিন তালাকের বিরুদ্ধেই বা কেন নয়? আমি চিরকালই মনে করে এসেছি এটা অসাংবিধানিক - এবং তিন তালাক যে কোরান-সম্মতও নয়, আজকের রায়ে তাও স্পষ্ট হয়ে গেল", বলেন মিস সুমান। তিন তালাক প্রথা আসলে কতটা ইসলাম-সম্মত আর কতটা নয়, তা নিয়েও এদিনের রায়ে বিচারপতিদের একাধিক পর্যবেক্ষণ এসেছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সাইফ মাহমুদ বলছিলেন, জাস্টিস কুরিয়েনের রায়েই কথাটা সবচেয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। বহুদিন ধরে তিন তালাক বিলোপের দাবি জানাচ্ছে ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন তিনি জানান, "জাস্টিস কুরিয়েন কোরান শরিফের একটার পর একটা আয়াত উদ্ধৃত করে রায়ে বলেছেন তিন তালাক অবশ্যই কোরানের চেতনার বিরোধী। আর যেটা কোরান-বিরোধী, তা তো অবশ্যই ইসলাম-বিরোধী হতে হবে।" "জাস্টিস নরিম্যান ও জাস্টিস উদয় ললিত সেই সঙ্গে যোগ করেছেন - এই প্রথা দেশের সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এই তিনজনের গরিষ্ঠ রায়ের ফলেই তিন তালাক আজ থেকে দেশে বেআইনি বলে গণ্য হচ্ছে।" তবে এই রায়ের মাধ্যমেই ভারতে তিন তালাক নিয়ে যাবতীয় বিতর্কর অবসান হতে যাচ্ছে তা বোধহয় নয়। দেশের প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠনগুলো কীভাবে এতে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সরকারই বা তিন তালাক প্রথার নিরসনে কী ধরনের আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়, এখন তার ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে।
'কোরান পড়ে বুঝেছি, তিন তালাকে তা সম্মতি দেয় না'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে মডেল প্রিয়তির যৌন হয়রানির অভিযোগ ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে এর একজন হলেন মাকসুদা আখতার প্রিয়তি, তিনি আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত মডেল, অভিনেত্রী ও পাইলট। তিনি ফেসবুকে ২৯শে অক্টোবর প্রথম একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশের রঙধনু শিল্প গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। মাকসুদা আখতার প্রিয়তি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে আইরিশ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি, যা ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের সাথেও বিবিসি বাংলার কথা হয়েছে। এতে তিনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেছেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু প্রিয়তি ৩০শে অক্টোবর ফেসবুক লাইভে এসে একটি ভিডিও বিবৃতি দেন, যাতে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা দেন কিভাবে মি. ইসলাম ২০১৫ সালের মে মাসে ঢাকায় তার অফিস কক্ষে তার ভাষায় 'অশালীনভাবে তার দেহের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করেন এবং পরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।' এই বিবৃতির ভিডিওটি এখন ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নানা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকে প্রিয়তির তার পোস্টে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন রঙধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক নারী-অধিকারকর্মী যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ করার জন্য তার সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার অন্য অনেকে তার বিরূপ সমালোচনাও করছেন। ভিডিওটিতে প্রিয়তি বলেন, মি. রফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানের একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার সূত্রে তার সাথে পরিচয় হয় তার। এর পর তিনি একদিন মি ইসলামের অফিসে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে ওই ঘটনা ঘটে। 'হয়রানি না, ধর্ষণের চেষ্টা' তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম যা করেছেন তাকে যৌন হয়রানি বা আক্রমণ বললে কম বলা হয়, তিনি তার চেয়ে বেশি করেছেন, তিনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন ঘটনাটি ঘটে তার ভাষায় মি. ইসলামের 'অত্যন্ত সুরক্ষিত' অফিস কক্ষে। তার সঙ্গে আরেকজন মহিলা ছিলেন যিনি উভয়ের পরিচিত, তবে মি. ইসলাম একান্তে কথা বলার কারণ দেখিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। "এর পর তিনি আমার জামার ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন। ...তার পর আমাকে টেবিলের ওপর ফেলে সারা শরীরে নোংরাভাবে হাত দেন, কাপড়ের নিচের অংশ খুলতে থাকেন।" "আমার মনে হচ্ছিল আমি কিভাবে এখান থেকে বের হবো। আমি জানি চিৎকার করে কোন লাভ হবে না কেউ শুনবে না।আমার ব্রেন কাজ করছিল না।" প্রিয়তি বলেন, এর পর রেহাই পাবার জন্য তিনি বলতে থাকেন যে মি. ইসলাম যা চাইছেন তাতে তিনি সম্মতি দিচ্ছেন - কিন্তু 'অন্য একদিন সময় নিয়ে আসার' কথা বলেন। প্রিয়তি বলেন, এর পর রফিকুল ইসলাম শান্ত হন এবং বলেন, তিনি তার দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: যৌন হয়রানির বিষয়ে কেন মুখ খোলেনা মেয়েরা? মাকসুদা আখতার প্রিয়তি ২০১৪ সালে মিস আয়ারল্যান্ড খেতাব পান প্রিয়তি বলেন, এভাবেই তিনি রফিকুল ইসলামের কক্ষ থেকে বেরুতে সক্ষম হন এবং সেই মহিলাকে কি হয়েছে খুলে বলেন। কিন্তু তার সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে উল্লেখ করেন প্রিয়তি। 'অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা' তবে রফিকুল ইসলামের সাথে বিবিসি বাংলার কথা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি, প্রিয়তিকে তিনি চেনেন না। তার প্রতিষ্ঠানে পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক মডেল কাজ করে, তাদের সাথে তার সরাসরি যোগাযোগও হয় না। "এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে আমার সামনাসামনি করেন, এবং একটা এভিডেন্স তাকে দেখাতে বলেন যে তার সাথে এরকম কোন আচরণ আমি করেছি" - বলেন তিনি। মি. ইসলামের কথা: আসন্ন নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান, এবং তার আগে একজন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার হিসেবে এসব করাচ্ছেন। মি. ইসলাম আরো বলেন, তিনি এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনী ব্যবস্থা নেবার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে এতদিন পরে এমন সময় অভিযোগ তোলা হচ্ছে কেন? এতদিন পর অভিযোগ করার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল প্রিয়তির কাছে । জবাবে তিনি বলেন, 'এ ঘটনাটা ছিল আমার জন্যে একটা আঘাত, একটা অপমান। এই ভয়টাকে জয় করা একটা সময়ের ব্যাপার। আমি তখন দেশ থেকে বের হতে পারবো কিনা সেই ভয় ছিল, জীবনের ভয় ছিল। কিন্তু সময় আমাকে সেই শক্তি সঞ্চয় করতে সহযোগিতা করেছে।" তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে #মি-টু আন্দোলনে যে ভাবে মেয়েরা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন - তা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। "এখন কেউ মুখ খুললে অন্যরা তার পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিন বছর আগেও এ পরিবেশ ছিল না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ফিসফিসানি' ছেড়ে যখন সরব নারী সাংবাদিকরা ‘মি টু’ কি সত্যিই যৌন নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে? এম জে আকবর: 'মি-টু' আন্দোলনের প্রথম বলি
যৌন হয়রানি: মাকসুদা প্রিয়তি ফেসবুকে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশী এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
গ্রেফতারের পর রায়হান কবির। আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে তিনি বলেছিলেন যে অনিবন্ধিত বিদেশি শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, এবং ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শত শত অভিবাসীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মালয় মেইল সংবাদপত্র খবর দিয়েছে, দু'সপ্তাহ ধরে খোঁজ করার পর পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় মি. কবিরকে গ্রেফতার করেছে। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল জাইমি দাউদ জানিয়েছেন যে মি. কবিরকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে তাকে আর মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেয়া হবে না। আল জাজিরা গত ৩রা জুলাই 'লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন' নামে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। মালয় পুলিশের হাতে আটক ক'জন অবৈধ বিদেশি শ্রমিক। প্রায় ২৬ মিনিটের ঐ ডকুমেন্টারিতে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া অবৈধ শ্রমিকদের বেহাল দশার কথা তুলে ধরা হয়। রায়হান কবির ঐ তথ্যচিত্রে এ সম্পর্কে কুয়ালালামপুর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছিলেন। ঐ ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, মহামারির মধ্যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ দু'হাজারেরও বেশি অনিবন্ধিত শ্রমিককে আটক করেছে এবং কঠোর ভাইরাস লকডাউনের মধ্যে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ঐ ভিডিওটি প্রচারের পর থেকেই মালয় সোশাল মিডিয়াতে মি. কবিরের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। এর জেরে কর্তৃপক্ষ তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে, এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আল জাজিরা বলছে, প্রলিশ দু'হাজারেরও বেশি শ্রমিককে আটক রেখেছে। আরও পড়তে পারেন: মালয়েশিয়ায় খাদ্য সঙ্কটে বাংলাদেশি শ্রমিকরা অনেকেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বিয়ের পাত্রী হিসেবে শুক্রবার গ্রেপ্তারের ঠিক আগে রায়হান কবির নিজের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ঢাকার ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, "আমার অপরাধটা কী? আমি তো কোনও মিথ্যা বলিনি। প্রবাসীদের ওপর যে বৈষম্য ও নিপীড়ন চলেছে, আমি শুধু সেই কথাগুলো বলেছি। "আমি চাই প্রবাসে থাকা কোটি বাংলাদেশি ভালো থাকুক। আমি চাই পুরো বাংলাদেশ আমার পাশে থাকুক।" কী বলছে আল জাজিরা? আল জাজিরা টেলিভিশন রায়হান কবিরের গ্রেফতার নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেও তারা মি. রায়হানের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগগুলি তুলে নেয়ার ডাক দিয়েছে। এক রিপোর্টে আল জাজিরা তাদের রিপোর্টের সত্যতা সম্পর্কে জোরালো বক্তব্য রেখেছে। চ্যানেলটি জানিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ তাদের একদল সাংবাদিককে কঠোরভাবে জেরা করেছে। পুলিশের জেরার মুখে আল জাজিরার সাংবাদিকরা। মালয়েশিয়ার পুলিশের আইজি তানশ্রি আব্দুল হামদি বাদর জানিয়েছেন, পুলিশ এবং অ্যাটর্নি জেনারেরেলের দফতর আল জাজিরার ডকুমেন্টারিটি বিশ্লেষণ করেছে এবং তাতে 'অনেক রাষ্ট্রদ্রোহিতার উপকরণ‌' রয়েছে বলে মনে করছে। বাংলাদেশ দূতাবাস নি:শ্চুপ রায়হান কবিরের গ্রেফতারের ব্যাপারে বিবিসি বাংলার তরফ থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে তিনি একটি 'বিশেষ পরিবেশের' মধ্যে আছেন। কিন্তু সেটা কি তার কোন ব্যাখ্যা জানা যায়নি। গ্রেফতার হওয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে কনসুলার সেবা মি. কবিরের পাওয়ার কথা, তিনি সেটা পেয়েছেন কিনা, তাও জানা যাচ্ছে না।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক দূর্ভোগ নিয়ে মন্তব্য করে আটক রায়হান কবির
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
এখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জেই বেশি আম হয় বলে বলছেন গবেষকরা "আগের চারদিকে শুধু ধানক্ষেত দেখা যেতো। ২০০২ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে সব আমবাগান হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেরা আগে রাজশাহী বা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম খুঁজতাম। এখন নওগাঁর আম কিনতে বহু মানুষ আসে আমাদের এলাকায়"। সালেহা বেগমের মতে, আমের মৌসুমে জমজমাট হয়ে উঠছে নওগাঁ কারণ ঢাকাসহ নানা জায়গা থেকে স্থানীয় বাজার ও আড়তে লোকজন আসে আম কেনার জন্য। তিনি বলেন, ধানের চেয়ে বেশি লাভ আম চাষে। তার কথার সাথে একমত সাপাহার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার। "এক মন ধানের দাম উঠে ৬/৭শ টাকা । সেখানে আম হাজারের নীচে নাই। মৌসুমে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তাই সবাই এখন আমের দিকেই ঝুঁকছে"। তিনি বলেন, তার এলাকায় কম বেশি সব জায়গায় এখন আমের বাগান গড়ে উঠেছে। বাইরের মানুষ এসেও আম বাগান কিনে নিচ্ছে আর ফলনও হচ্ছে ব্যাপক। আরো পড়ুন: আম চেনার যত উপায় আম পাড়ার ক্যালেন্ডার নিয়ে মানুষ কতটা সচেতন? কোন মৌসুমে কোন আম খাবেন? বাগান থেকে আসছে আম কেন নওগাঁয় বাড়ছে আম বাগান জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলছেন জেলার সবজায়গাতেই আম চাষ বাড়ছে যদিও পোরশা ও সাপাহার উপজেলায় বেশি আম বাগান দেখা যাচ্ছে। "এটি বরেন্দ্র এলাকা। এ এলাকায় পানির পরিমাণ কম আবার সেচ সুবিধাও নেই। তাই মাটির বৈশিষ্ট্যের কারণেই প্রচুর ফলন হয় আমের। জেলায় এখন বছর জুড়েই আমের চারা বিক্রি হয়"। তবে এখানে ফলনের পরিমাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের চেয়ে কম হয় বলেই জানান তিনি। আম চেনার যত উপায় " নওগাঁয় নতুন নতুন বাগান হচ্ছে এবং ফলন বাড়ছে এটি সত্যি। কিন্তু মনে রাখতে হবে চাপাইতে একটি বড় গাছে যে পরিমাণ আম হয় নওগাঁয় একই ধরণের বড় গাছে সেই পরিমাণ আম হয়না। তবে নতুন মাটি ও নতুন নতুন গাছ হওয়ার কারণে দিন দিন ফলন বাড়ছে। তাছাড়া নওগাঁর গাছের আকার ছোটো"। অবশ্য তিনি বলেন যে গত কয়েকবছরে আম উৎপাদন এতো বেড়েছে যে অনেক আমের বাজার গড়ে উঠেছে এবং উপজেলা পর্যায়ে আড়তগুলো এখন জমজমাট। "এখন নওগাঁর আম চাপাইতে নিয়ে সেখান থেকে অন্যত্র বাজারজাত করেন অনেকে। আবার চাপাই থেকে অনেকে এসে নওগাঁয় বাগান কিনছেন। তাদের অভিজ্ঞতা আছে এবং বিনিয়োগও করছেন"। তাছাড়া আম চাষে নতুন নতুন কৌশলও আসছে বলে জানান তিনি, যা ফলন বাড়াতে ও কোনো ক্ষেত্রে গাছে দীর্ঘদিন আম রেখে মৌসুমের শেষে বেশি দামে বিক্রি করেন অনেকে ব্যবসায়ী। আমের বাজার কোথায় বেশি হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাকি নওগাঁয়? চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: শফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দেশে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয় তার ২৫ ভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জে হয়। "আম এখন সারাদেশে হচ্ছে। অন্তত তেইশটি জেলায় বাণিজ্যিক ভাবে আম উৎপাদন হচ্ছে বাগানে। বিশেষ করে নতুন এলাকা গুলোর মধ্যে নওগাঁ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাঙ্গামাটিতে ভালো আম হচ্ছে"। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাগান আছে প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে আর নওগাঁয় এখন এ ধরণের জমির পরিমাণ প্রায় আঠার হাজার হেক্টর। নওগাঁয় নতুন নতুন বাগান হচ্ছে এবং এক ফসলী জমি বেশি হওয়ার কারণে উঁচু জমিতে আমের বাগান বাড়ছে বলে জানান তিনি। "আম্র পালিসহ কয়েকটি জাতের আম নওগাঁয় খুবই ভালো হচ্ছে"। মিস্টার ইসলাম বলছেন, গত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে এবং নওগাঁয় হয়েছে পৌনে দুই লাখ মেট্রিক টনের মতো। "এটা ঠিক যে এবছর পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জেই বেশি আম হচ্ছে। কিন্তু নওগাঁয় দিন দিন বাড়ছে। সেখানে নতুন বাগান হওয়ার কারণে ফলনও বেশি হবে।" "আর অন্তত ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেখানে আম চাষ সম্ভব হবে। ফলে নওগাঁই আসলে দেশের সবচেয়ে বড় আমের বাজার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে"।
বাংলাদেশের নওগাঁয় কেন বেড়েই চলেছে আমের ফলন, ছাড়িয়ে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জকেও?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
'আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা' - ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমাদের খুবই ব্যয়বহুল একটি বিমানঘাঁটি সেখানে আছে। এটা বানাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এটার ক্ষতিপূরণ যতক্ষণ না দিচ্ছে তারা, ততক্ষণ আমরা সেখান থেকে যাচ্ছি না', সাংবাদিকদের বলেন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে বাগদাদ সফররত ইরানী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইরান 'চরম প্রতিশোধ' নেবার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে। ৬২ বছর বয়স্ক সোলেইমানি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানী সামরিক কর্মসূচীর প্রধান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে তিনি ছিলেন সন্ত্রাসী। নিহত জেনারেলের মৃতদেহ ইরানে নেবার পর সেখানে কয়েকদিনব্যাপী শেষকৃত্য চলছে। সোমবার সকালে তেহরানের রাস্তায় বহু মানুষ নেমে আসে শোক প্রকাশ করবার জন্য। সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে মনে করা হতো নিহত জেনারেল সোলেইমানির নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্সের নতুন প্রধান মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করার শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বেতারে এসমাইল কানি বলেন, "আমরা শহীদ সোলেইমানির দেখানো পথে সমান শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি...এবং আমাদের জন্য একমাত্র ক্ষতিপূরণ হবে এই অঞ্চল থেকে আমেরিকার অপসারণ"। কী ধরণের অবরোধের হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প? প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেনে বসে মি. ট্রাম্প বলেন, ইরাক যদি সেখান থেকে শত্রুতামূলকভাবে মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে বলে, "তাহলে আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা। এই অবরোধের কাছে ইরানের উপর আরোপ করা অবরোধকে ম্লান বলে মনে হবে"। কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৈরি করা আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে ৫ হাজার আমেরিকান সৈন্য এখন ইরাকে রয়েছে। রবিবার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরতি টানে কোয়ালিশন। একই দিনে ইরাকি এমপিরা পার্লামেন্টে একটি রেজোল্যুশন পাশ করে, যেখানে বিদেশি সৈন্যদের ইরাক ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। আরো খবর: ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপরে মুখোশধারীদের হামলা চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে পিচ শুকানোর চেষ্টা বিমানের মুনাফা: দেনা শোধ না করে লাভ কতটা যৌক্তিক?
কাসেম সোলেইমানি হত্যা: এবার ইরাককে চরম অবরোধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্ববী হওয়ার আকাঙ্খা বাড়ছে। আর এসব নারীর বেশিরভাগই হয় বিধবা, নয়তো তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, প্রতি ১০০টি পরিবারের মধ্যে ১৪টি পরিবারের প্রধান এখন নারী। দুহাজার তের সাল থেকে এই হার বাড়ছে বলে পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে। দশ বছর আগে নারী-প্রধান পরিবারের হার ছিল ১০.৩%। জরিপের ফলাফল থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে অল্প বয়সী মেয়েরাই এখন পরিবারের হাল ধরছেন। বয়স ১৫ বছরের কম এমন নারী এখন ২১.৬% পরিবারের কর্ত্রী। অন্যদিকে, ১৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে বয়স এমন নারী এখন ১৩.৪% পরিবারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ৮৪.৮% পরিবারের প্রধান যে নারী তিনি হয় বিধবা, নয়তো স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে। এই গার্মেন্টস কর্মীর মতো অনেকেই এখন পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। অন্যদিকে, শতকরা ১৪ ভাগ পরিবারের প্রধান অবিবাহিত নারী। যেসব নারী পরিবারের হাল ধরেছেন তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে (২১.৫%)। তারপরেই রয়েছে সিলেট বিভাগ। কিন্তু এই দুটি বিভাগে কেন নারী-প্রধান পরিবারের সংখ্যা বেশি, সে সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়নি। অন্যদিকে, এই ধরনের পরিবারের সংখ্যা সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে। অর্থাৎ সেখানে পুরুষরাই পরিবারের হাল ধরেছেন বেশি। আরও পড়তে পারেন: যে কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে গড় আয়ু কী খান বিশ্বকাপ তারকারা, এক শেফের বয়ান নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের যত রাগ-অনুরাগ
বাংলাদেশে নারী-প্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ঘূর্ণিঝড়টি এখন কক্সবাজার থেকে ১২৭০ কিলোমিটার আর মংলা থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এখন কক্সবাজার থেকে ১২৭০ কিলোমিটার আর মংলা থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৯৪ কিলোমিটার। আরো পড়ুন: যে কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন ওড়িশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে একটু ঘুরতে পারে। ঝড়টির বর্তমান গতি হিসাব করলে সেটি আগামী ৩ বা ৪ মে'র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের খুলনা সুন্দরবন এলাকা অতিক্রম করতে পারে। বুধবার নাগাদ পরিষ্কার হয়ে যাবে, ঝড়টি কোন দিকে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, আগামী ১/২ দিনের মধ্যে গরম কমতে শুরু করবে। শুক্রবার থেকে মেঘ বা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় ২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ের মতো বড় ঝড় বেশি হচ্ছে কিন্তু ফণী নামটির অর্থ কী? ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' নাম দিয়েছে বাংলাদেশ। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ফণী। কিভাবে এই নামটি এলো? বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP। এর সময় ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো। এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। সে সময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন 'ফণী' ঝড়কে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকী রয়েছে। এর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হতো। ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়কে সাইক্লোন বলা হলেও আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বলা হয় টাইফুন। ঘূর্ণিঝড় তিতলির সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একটি পরিবার ঝড়ের নামের তালিকা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর উপকূলের আটটি দেশের প্রস্তাব অনুসারে একটি তালিকা থেকে একটির পর একটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। আঞ্চলিক এই আটটি দেশ একেকবারে আটটি করে ঝড়ের নাম প্রস্তাব করেছে। প্রথম দফায় মোট ৬৪টি নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন ফণী নামটি বাংলাদেশের দেয়া। এরপরের ঝড়ের নাম হবে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী ভায়ু। তারপরে আরো ছয়টি ঝড়ের জন্য এখনো নাম তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হলো হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান এবং আম্ফান। এই নামগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা আবার বৈঠকে বসে নতুন নামকরণ করবে। ফণীর মাধ্যমে শেষ সাইকেল শুরু হলো। এরপরে আরো সাতটি ঝড়ের পর বাংলাদেশ আবার চারটি ঝড়ের জন্য নাম দেবে। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা নামগুলো ছিল হেলেন, চাপালা ও অক্ষি। তবে বেশির ক্ষেত্রে ঝড়ের নামকরণে মেয়েদের নামের প্রাধান্য দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের একটি পরিবার ফণী নামটি কোথা থেকে এলো? আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলছেন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বৈঠকে বাংলাদেশের এক বা একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অংশ নিয়ে থাকেন। আগে থেকে তারা আলোচনা করে নেন যে, কি নাম হবে। আবহাওয়া দপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলছেন, ''এখন ঝড়ের যেসব নাম আসছে, সেগুলো অনেক আগে ঠিক করা হয়েছিল। এমনকি আমি যতদিন দায়িত্বে ছিলাম, তখন আমাদের কোন নাম প্রস্তাব করতে হয়নি। আগে ঠিক হওয়া নামগুলোই এখনো শেষ হয়নি।'' তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বা সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিয়ে থাকে। তারা ঝড়ের নামগুলো করে থাকেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সেই তালিকা থেকে ঝড়ের নাম বাছাই করা হয়। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলছেন, ঝড়ের নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়, যাতে সেটি ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক ভাবে কোনরকম বিতর্ক বা ক্ষোভ তৈরি না করে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ২০১৩ সালে একটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছিল 'মহাসেন।' নামটি প্রস্তাব করেছিল শ্রীলঙ্কাই। কিন্তু সেখানকার সাবেক একজন রাজার নাম ছিল 'মহাসেন', যিনি ওই দ্বীপে সমৃদ্ধি নিয়ে এসেছিলেন। ফলে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এমনকি শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমে সেটিকে নামহীন ঝড় বলে বর্ণনা করা হয়। পরবর্তীতে রেকর্ডপত্রে ঝড়টির নতুন নাম নির্ধারণ করা হয় 'ভিয়ারু'। বাংলাদেশে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে লণ্ডভণ্ড একটি গ্রাম কিভাবে ঝড় তৈরি হয়? সমুদ্রের উষ্ণ পানির কারণে বায়ু উত্তপ্ত হঠাৎ করে এসব ঝড়ের তৈরি হয়। তখন তুলনামূলক উষ্ণ বাতাস হালকা হয়ে যাওয়ার কারণে ওপরে উঠে যায়, আর ওপরের বাসা ঠাণ্ডা বাতাস নীচে নেমে আসে। এসে নীচের বায়ুমণ্ডলের বায়ুর চাপ কমে যায়। তখন আশেপাশের এলাকার বাতাসে তারতম্য তৈরি হয়। সেখানকার বাতাসের চাপ সমান করতে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রবল বেগে বাতাস ছুটে আসে। আর এ কারণেই তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়ের। এরফলে প্রবল বাতাস ও স্রোতের তৈরি হয়। যখন এসব এই বাতাসের ভেসে ঝড়টি ভূমিতে চলে আসে, তখন বন্যা, ভূমিধ্বস বা জলোচ্ছ্বাসের তৈরি করে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া থাকলে মানুষকে সতর্ক করা সহজ হয় সাইক্লোন, হ্যারিকেন আর টাইফুনের মধ্যে পার্থক্য কী? এর সবগুলো ঝড়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এগুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন আটলান্টিক, ক্যারিবিয়ান সাগর, মধ্য ও উত্তরপূর্ব মহাসাগরে এসব ঝড়ের নাম হ্যারিকেন। উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সেই ঝড়ের নাম টাইফুন। বঙ্গোপসাগর, আরব সাগরে এসব ঝড়কে ডাকা হয় সাইক্লোন নামে। যদি কোন নিম্নচাপ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে, তখন সেটি আঞ্চলিক ঝড় বলে মনে করা হয় এবং তখন সেটির নাম দেয়া হয়। কিন্তু সেটি যদি ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার (৭৪ মাইল) গতিবেগ অর্জন করে, তখন সেটি হ্যারিকেন, টাইফুন বা সাইক্লোন বলে ডাকা হয়। এগুলোর পাঁচটি মাত্রা হয়েছে। ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করলে সেটির সর্বোচ্চ ৫ মাত্রার ঝড় বলে মনে করা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়া ঝড়ের মাত্রা নির্ধারণে ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফণী নামটি কোথা থেকে এলো?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইয়াগো রেইদিজক ২৩ বছর বয়সে ১৫ বছরের শামীমা বেগমকে সিরিয়ায় বিয়ে করেছিলেন। আইএসের দখলকৃত এলাকায় শামীমা পৌঁছানোর কয়েকদিন পরই ইয়াগো রেইদিজক এবং শামীমার বিয়ে হয়। এর আগে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছিল, আইএসে যোগ দেবার কারণে শামীমা দেশটির নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। তার নাগরিকত্বের বিষয়ে যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের লেখা একটি চিঠি তার মায়ের কাছে ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে মেয়েকে জানানোর জন্য। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াগো রেইদিজক স্বীকার করেছেন, তিনি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চান। শামীমা বেগমের স্বামী ইয়াগো রেইদিজক ২৭ বছর বয়সী মি. রেইদিজক এখন উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় একটি কুর্দি বন্দি শিবিরে আটক আছেন। নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেলে আইএসে যোগ দেবার অপরাধে তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা কোয়েনটিন সামারভিলকে তিনি বলেছেন, তিনি আইএস ছেড়ে দিয়েছেন এবং তিনি দাবী করেছেন তিনি আগেও এই দল থেকে বের হয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন। মি. রেইদিজক জানিয়েছেন, ডাচ গোয়েন্দা হিসেবে সন্দেহ করে রাক্কায় আইএস তাকে বন্দি করেছিল এবং তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন 'আইএস বধূ' শামীমা বেগম সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমা দেশে ফিরতে চান ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত 'খেলাফতের' রাজধানী রাক্কায় এই গোষ্ঠীর পতনের পর, যখন উত্তর সিরিয়ার বাগুজেও এই গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী শামীমা এবং তার স্বামী শহর থেকে পালিয়ে যান। মি. রেইদিজক একদল সিরিয় যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আর শামীমা উত্তর সিরিয়ার আল-হাওল শরণার্থী শিবিরে আরো ৩৯ হাজার মানুষের সঙ্গে আশ্রয় নেন। শামীমা বেগম সেখানেই শামীমা একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। তবে এখন শামীমা সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মি. রেইদিজক বিবিসিকে বলেছেন, পনের বছরের একজন কিশোরীকে বিয়ে করার বিষয়টি তার কাছে 'ভুল' মনে হয়নি, কারণ এটি ছিল 'তার (শামীমার) সিদ্ধান্ত'। তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর। তবে শুরুতে বয়স কম বলে তিনি শামীমার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না বলে দাবী করেছেন। "সত্যি বলতে, যখন আমার বন্ধুরা এসে বলেছিল যে রাক্কার নারী কেন্দ্রের এক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী, আমি সেসময় খুব একটা আগ্রহ দেখাইনি। কারণ তার বয়স খুবই কম, কিন্তু আমি পরে রাজি হই।" "আমি তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম, কিন্তু সে রাজি হয়নি। ফলে তখন আমরা বিয়ে করি।" নাগরিকত্ব নিয়ে হৈচৈ এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে এক ব্রিটিশ দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চান, কিন্তু তার অতীত কর্মের জন্য তার কোন অনুতাপ নেই। এরপর থেকে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে দেশে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, যেহেতু শামীমা বেগমের বয়স ১৯ হয়েছে, তাই তিনি অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। সে কারণেই শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। যেহেতু শামীমার মা বাংলাদেশের নাগরিক, ফলে মায়ের দিক থেকে শামীমা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন এমন কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। এদিকে, মি. রেইদিজক নেদারল্যান্ডস সরকারের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছেন, কিন্তু তার নাগরিকত্ব বাতিল করেনি দেশটি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চীনে সিজারিয়ানের মাধ্যমে মা হওয়া কমছে যে কারণে তিনটি সেঞ্চুরি, তবু ইনিংস ব্যবধানে হারের যে চার কারণ পাকিস্তান থেকে যেভাবে পালিয়েছিলেন ৩ ভারতীয় পাইলট
'আইএস বধু' শামীমা বেগম: স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরতে চান তার স্বামী