instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পুরনো ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুনের দৃশ্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ বেলা সাড়ে এগারটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তারা ৭৮টি মৃতদেহ পেয়েছেন। যদিও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম থেকে বিবিসি বাংলাকে মৃতের সংখ্যা ৭০টি বলা হয়েছে। এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ৭০জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং আরও মৃতদেহ থাকতে পারে। ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের জন্য উন্নত সব কৌশল 'বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোকের ডেডবডি দেখতে পাচ্ছি' ছবিতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুন চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কিভাবে মৃতদেহ পাবেন স্বজনরা? বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা ফারহানা পারভীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাাতালে ডা: সোহেল মাহমুদের ব্রিফিংএ ছিলেন। মিস্টার মাহমুদ বলছেন, যেসব লাশ তাদের স্বজনরা সহজেই সনাক্ত করতে পারছেন সেগুলো আজই যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছেনা তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। যদি সেটিতে সনাক্ত হয়ে যায় তাহলে সেগুলোও স্বজনরা গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু যেসব লাশ একেবারেই সনাক্ত করা যাচ্ছেনা সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর দেয়া হবে এবং এজন্য কিছুটা সময় লাগবে। গত রাত সাড়ে ১০টার পরে পুরনো ঢাকার চকবাজারে শাহী মসজিদের কাছে 'ওয়াহিদ ম্যানসন' নামের একটি ভবনে আগুন লাগার পর তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ। অনুমতি নেই রাসায়নিক রাখার ২০১০ সালের জুনে পুরনো ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের কারখানায় আগুন ধরে ১২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পুরনো ঢাকার আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের কারখানা বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাহলে কিভাবে চকবাজারে রাসায়নিকের গুদাম থাকতে পারে? বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে মিঃ খান বলেন, "নিষেধাজ্ঞার পরেও অনেকে হয়ত চোরাইভাবে রেখে ব্যবসাবাণিজ্য করে। কর্তৃপক্ষের অগোচরে কাজ করে তারা। কিন্তু এর পরিণতি হচ্ছে এ ধরণের ঘটনা।" ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। সরু রাস্তা ও পানির সংকট চকবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে, এর কারণ হিসেবে মি. খান সরু রাস্তা ও পানির সংকটকে প্রধান সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন। "অনেক দূর ঘুরিয়ে গাড়ি ভেতরে আনতে হয়েছে। সেই সঙ্গে এটা একটা জনবহুল এলাকা তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে বেশি।" এছাড়া এখানে পানির অভাবও রয়েছে। এখন পুকুর থেকে পানি এনে কাজ চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফায়ার সার্ভিসের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ৮৮ হাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাণহানি হয়েছে ১৪০০ জন, আহত হয়েছে অন্তত ৫০০০ মানুষ। ঢাকার বস্তিতে 'লুমকানি' ডিভাইস, ঠেকাতে পারবে আগুন?
চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: ভয়াবহ আগুনে নিহত ৭৮, স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
দুধের মান পরীক্ষা করছেন এক গবেষক। (ফাইল ফটো) অনেকেই বলছেন, বাজার থেকে তারা দুধ কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। ঢাকার একজন গৃহিনী তানজুম আরা তার শিশুদের জন্য প্যাকেটজাত তরল দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে পরিচিত এক ব্যক্তির খামার থেকে বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মত আরো অনেকেই বাজার থেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শঙ্কিত দুধ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন খাবারের মান নিয়েও। নাজিয়া পারভীন বলছিলেন, দুধে ক্ষতিকর উপাদান থাকার খবর পাওয়ার পর থেকে মিষ্টি বা পনিরের মত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তিনি। "সব মিষ্টি যে খামার থেকে আনা দুধ দিয়েই বানানো হয় তার নিশ্চয়তা কী! অনেক মিষ্টিই হয়তো এরকম প্যাকেটজাত দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই মিষ্টি, দেশীয় পনিরও যে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।" অনেকে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া নিয়েও আশঙ্কায় আছেন। দুধে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের দুধের বিক্রি যে কিছুটা কমেছে তা বাজারে গিয়েও বোঝা যায়। যদিও এবিষয়ে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। পাস্তুরিত তরল দুধের বিক্রির হার স্বাভাবিক আছে বলে কেউ কেউ দাবি করলেও অনেকেই স্বীকার করেন যে দু'সপ্তাহ আগের তুলনায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। তবে তরল দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে মানুষের আস্থা যে কমেছে, সেবিষয়ে সন্দেহ নেই। তানজুম আরা বলেন, দুধ উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সহজে আর আস্থা ফেরাতে পারবেন না তিনি। "হয়তো আদালতের হস্তক্ষেপে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পর দুধের মান ফিরে আসবে। কিন্তু আমি সহজে আর এই ব্র্যান্ডগুলোর ওপর সহজে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো না। প্রয়োজনে হয়তো পরিবারের সদস্যদের দুধ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবো।" আরো পড়তে পারেন: দুধে চার ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার দাবি মানুষ কী করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? দুধের মান নিয়ে দুই সংস্থার দুইরকম বক্তব্য কেন? বাংলাদেশের অনেক নারীরা খামার করে থাকেন 'স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ' সাধারণ মানুষ বাজারের দুধের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেললে তা দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির জন্য আশঙ্কাজনক হতে পারে বলে মনে করেন পুষ্টিবিজ্ঞানী চৌধুরী তাসনিম হাসিন। "বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে, অপুষ্টির হার ব্যাপক। এরকম পরিস্থিতিতে দুধের মত পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের ওপর যদি মানুষ আস্থা হারায়, তা ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় হয়ে দেখা দিতে পারে।" তার মতে এধরনের খবর যেহেতু জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে, তাই এসব খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, "অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক হিট রেসিস্ট্যান্ট (তাপ প্রতিরোধী) না, অর্থাৎ তারা তাপে নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দুধ কেনার পর তা গরম করে ফুটিয়েই খায়, তাই ফুটানোর পর অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব না থাকার কথা। তাই আসলে কী কী পদক্ষেপ নিলে মানুষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দুধ খেতে পারবে তা পরিস্কার করা উচিত কর্তৃপক্ষের।" এছাড়া পাস্তুরিত করার পরও কীভাবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বা সীসার মত উপাদান পাওয়া গেলো এবিষয়েও সুষ্ঠু ও সঠিক অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মিজ. হাসিন। এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ওপর ঢালাওভাবে নির্ভর না করে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি। "আমাদের দেশে পানিতে স্বাভাবিকভাবেই আর্সেনিকের মাত্রা বেশি, তাই ৪০ পিপিএম পর্যন্ত এটা গ্রহণযোগ্য কারণ তা মানবদেহে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু অনেক পশ্চিমা দেশেই পানিতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১০ পিপিএম।" তাই যেসব উপাদানকে বিষাক্ত বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেগুলো আসলেই বিষাক্ত কিনা কিম্বা কতোটা বিষাক্ত তা সঠিকভাবে খতিয়ে দেখার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। পাশাপাশি, এসব গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত আছে কিনা এবং নির্ভুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেসব বিষয়ের কথা বিবেচনা করার কথাও বলেছেন তিনি। তিনি মনে করেন, এসবের ভিত্তিতে বিষয়টি স্বচ্ছতার সাথে তুলে ধরা হলে ভোক্তারা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। আরো পড়তে পারেন: মিন্নির গ্রেফতার নিয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার যা বললেন ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট হিন্দু ছাত্রীকে কোরান বিলির নির্দেশ ভারতের আদালতের
তরল দুধে ক্ষতিকর উপাদান: উৎপাদনকারীদের ওপর ভোক্তাদের আস্থা কতখানি?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
প্রিয়া সাহা আমেরিকাতেই এক সাংবাদিককে দেওয়া প্রিয়া সাহার ৩৫ মিনিটের সাক্ষাৎকারটি রোববার ইউটিউবে প্রকাশ করেছে ঢাকায় তারই এনজিও 'সারি'। 'তিন কোটি ৭০ লাখ নিখোঁজ' তিন কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু 'নিখোঁজ' হওয়ার এই পরিসংখ্যান তিনি কোথায় পেলেন - এই প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা - যিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক - বলেন, সরকারী পরিসংখ্যান থেকে তিনি এই তথ্য দিয়েছেন। "২০০১ সালের পরিসংখ্যানে সংখ্যালঘুদের ওপর একটি চ্যাপ্টার রয়েছে। সেনসাস ( আদম শুমারি) অনুসারে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ। এখন তা কমে ৯.৭ শতাংশ।" প্রিয়া সাহা বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত ২০১১ সালে এক গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের লোক 'হারিয়ে যাচ্ছে'। "ঐ গবেষণা কাজের সাথে আমিও জড়িত ছিলাম। সুতরাং আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'প্রিয়া সাহা দেশে ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে' 'প্রিয়া সাহার বক্তব্য না শুনে ব্যবস্থা নয়' প্রিয়া সাহার অভিযোগ কতটা আমলে নিতে পারেন ট্রাম্প কোথায় গেছে সংখ্যালঘুরা? নিখোঁজ হওয়া বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? - এই প্রশ্নে প্রিয়া সাহা বলেন, "সংখ্যালঘুদের শতকরা ভাগ যদি এখনও একই রকম থাকতো তাহলে বর্তমানে তাদের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ বেশি হতো। সেটাই আমি বলতে চেয়েছি" এ মানুষগুলো কোথায় গেছে? গুম হয়ে গেছে নাকি কোথাও চলে গেছে? - এরকম এক প্রশ্নে তিনি বলেন, "আপনি একজন সিনিয়র সাংবাদিক, সচেতন মানুষ, সকল সচেতন মানুষ জানেন কোথায় গেছে, কী হয়েছে।" প্রিয়া সাহা সাক্ষাৎকারে পিরোজপুর জেলায় তার নিজের গ্রামের এবং পরিবারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তার গ্রামে ২০০৪ সালেও ৪০টি হিন্দু পরিবার ছিল যা কমতে কমতে ১৩টিতে দাঁড়িয়েছে। কোথায় গেছে তারা- সাংবাদিকের এই প্রশ্নে প্রিয়া সাহা বলেন, "আপনাদেরই তা দেখার কথা, রাষ্ট্রের দেখার কথা।" ঐ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে তার বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়, এবং তার পরিবারের বহু জমি-জমা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হাতিয়ে নেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কী বলেছিলেন হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের সময় প্রিয়া সাহা বলেন - 'বাংলাদেশ থেকে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।' ঐ সময় তিনি মি ট্রাম্পকে বলেন, তিনি তার জমি হারিয়েছেন, তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দায়ী কে- মি ট্রাম্পের এই প্রশ্নে প্রিয়া সাহা জবাব দেন - মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠীরা এর জন্য জন্য দায়ী এবং তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। মার্কিন দূতাবাসের সমালোচনা সাক্ষাতের এই ভিডিও ফুটেজ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে, বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। সরকারী কয়েকজন মন্ত্রীও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কাছে 'মিথ্যা এবং কাল্পনিক' বক্তব্য দিয়ে প্রিয়া সাহা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রিয়া সাহাকে লক্ষ্য করে তীব্র গালমন্দ শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে দেশদ্রোহিতার মামলা নিতে আর্জি করেন দুজন আইনজীবী যদিও সেগুলো আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পুত্র এবং উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ তার এক ফেসবুক পোস্টে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে তারা প্রিয়া সাহাকে ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে। "তারা জানে প্রিয়া সাহাকে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে এধরনের ক্রুদ্ধ ও আপত্তিকর আপত্তিকর বক্তব্য দেবেন।" ঢাকায় মার্কিন দুতাবাসকে সমালোচনা করে সজীব ওয়াজেদের ফেসবুক পোস্ট 'আমি ভালো নেই' সাক্ষাৎকারের শুরুতে প্রিয়া সাহাকে খুবই উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। তিনি বলেন, "আমি ভালো নেই। পরিবার সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। বাসার সামনে কাল মিছিল হয়েছে। তালা ভাঙ্গার চেষ্টা হয়েছে। পত্রিকায় আমার পরিবারের ছবি ছাপিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করা হয়েছে।" দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলতে, তাদের সুরক্ষার জন্য তৎকালীন বিরোধী নেত্রী এবং বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বহু দেশে ঘুরেছিলেন। "মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এসব কথা বলেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো জায়গায় কথা বলা যায় - আমি তার কাছ থেকে শিখেছি।" কীভাবে ওয়াশিংটনে গেলেন পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে গিয়ে নষ্ট করা হয়েছে - সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রিয়া সাহা বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আমন্ত্রণে খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে তিনি সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমেরিকায় যান। তিনি জানান, ঐ অনুষ্ঠানের মাঝে হঠাৎ করেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার কথা বলা হয়। তিনি বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাননি এবং সংগঠনের নেতারাও তার সফরের কথা জানেন না। হোয়াইট হাইজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলছেন প্রিয়া সাহা উল্লেখ্য যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঐ অনুষ্ঠানে প্রিয়া সাহা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ছাড়াও দুজন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিও ছিলেন। দেশে ফিরবেন? ব্যক্তিগত ক্ষোভ অথবা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ করতে তিনি পরিকল্পিতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে এসব কথা বলেছেন কিনা - এই প্রশ্নে প্রিয়া সাহা বলেন, "গ্রিন কার্ড পেতে কি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করার প্রয়োজন হয়?" "আমি বহুবার আমেরিকায় এসেছি। আমি কেন দেশ ছাড়বো? আমি তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বলেছি যে আমি দেশে থাকতে চাই। ওটাই আমার প্রথম কথা এবং শেষ কথা।" দেশে ফিরবেন আর? প্রিয়া সাহা উত্তর দেন - "অবশ্যই।" তার সাক্ষাৎকারে একাধিকবার প্রিয়া সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি এও বলেন তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ৯৯ ভাগ মুসলিমই অসাম্প্রদায়িক। "২০০৪ সালে যখন আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছিল তখন গ্রামের মুসলিম একটি ছেলে প্রথম টেলিফোন করে আমাকে তা জানায়। টেলিফোনে আমি তার কান্না থামাতে পারছিলাম না।" "কিছু দুষ্ট লোক এসব ঘটনা ঘটায় ... এরা সবসময় সরকারি দল, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেখানে গিয়ে ভেড়ে।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে আপত্তি আসামে নাম পরিবর্তনে ইসির কড়াকড়ি: হিন্দুদের আপত্তি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয়া সাহা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ঢাকায় আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বুধবার দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে, সেখানে বাংলাদেশের এই অবস্থান পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩তম। এ বছর শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া। আর সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ডেনমার্ক। টিআইয়ের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের যে তালিকা অর্থাৎ দুর্নীতির ধারনা সূচকের মোট দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিকে থাকা দেশের তালিকার বিচারে বাংলাদেশের উন্নতি হলেও সার্বিক বিচারে বাংলাদেশ বরং পিছিয়ে। দুর্নীতি সূচকে ভাল থেকে খারাপ, এই তালিকায় এবছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫। অথচ এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৯। অর্থাৎ ছয় ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান একমাত্র আফগানিস্তানের উপরে। আফগানিস্তান শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, এই অবস্থান পরিবর্তন কোন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না, এ বছর নতুন নতুন দেশ যোগ হয়েছে বলে বাংলাদেশের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, "র‍্যাংকিং বাড়ল কি কমলো এর উপর ধারণা করে দুর্নীতি বাড়ল বা কমল এটা বলা যাবে না। এখানে স্কোরটাই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলছেন, বাংলাদেশের স্কোর এবার এক পয়েন্ট বেড়ে ২৬। তিনি বলছেন, কোন দেশের স্কোর যদি ৪৩ হয়, তাহলে বলা যায় তার মধ্যম পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর সেখান থেকে অনেক কম। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের স্কোরে বড় ধরণের পরিবর্তনও আসছে না। "ফলে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, একথা বলা যাবেনা", বলছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচাইতে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর থেকে অবস্থান ভাল হতে শুরু করে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ, ২০০৭ সালে ছিল সপ্তম।
শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৫তম
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ঝড়ের শেষে বাড়ি ফেরার পালা, বাংলাদেশের খুলনায়। ঢাকায় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, ফণীর বিপদ কেটে গিয়ে সেটি লঘু চাপে পরিণত হয়ে উত্তরাঞ্চল দিয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে, উপকূলের ১৯টি জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ১৬ লাখের বেশি মানুষ বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ফণী সাতক্ষীরা, খুলনা হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে ভোর ছ'টার দিকে। অনেক ভয় বা আশংকা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টি আগেই দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এর প্রবেশের এলাকায় বড় ধরণের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। দক্ষিণ পশ্চিমের সাতক্ষীরা জেলার গাবুরা ইউনিয়নকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে থাকা এই ইউনিয়নটির একজন কাউন্সিলর রেকসোনা বেগম বলছিলেন, ঝড়ে বড় কোনও বিপদ হয়নি। ঝড় পালানো মানুষ। আরও পড়তে পারেন: মাটিতে নেমে দুর্বল হলো ফণী; নিয়ে গেল ১৩টি প্রাণ কোথায় হারালেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট 'বাংলাদেশে গেলে শামীমা বেগমের মৃত্যুদণ্ড হবে' তবে ঘরবাড়ি এবং গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। তবে দুর্বল ঘূর্ণিঝড়েও দেশের কয়েকটি জায়গা থেকে কমপক্ষে পাঁচজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘর বা গাছ চাপা পড়ে নোয়াখালীতে একজন পুরুষ, ভোলায় একজন নারী, বরগুনায় একজন বৃদ্ধা ও এক শিশু এবং লক্ষ্মীপুরে একজন বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে এই জেলাগুলোর প্রশাসন থেকে জানা গেছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি ইউনিয়নের কাউন্সিলর শাহনাজ বেগম বলছিলেন, ঘরবাড়ি এবং গাছপালার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল থেকে সাংবাদিক শাহিনা আজমিন জানিয়েছেন, রাস্তাঘাটে অনেক গাছ পড়ে যাওয়ায় ঐ অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি এবং নৌযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও এখনও সচল হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় গাছ এবং ঘরবাড়ির কিছু ক্ষতি হয়েছে। এর সঠিক তথ্য নিরূপণ করে দ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল জানান, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। ভারতের পুরীতে ধ্বংসস্তুপের মাঝখানে বসে আছেন এক নারী। তিনি বলেন, "ফসলের একটা আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আর কিছু ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে।" "আমরা শেষ পর্যন্ত ১৬লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছিলাম। তাদের দুপুরে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছে। বিকেল থেকে তারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।" আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল অবস্থায় লঘুচাপে পরিণত হয়ে শনিবার দিনের বেলা ফরিদপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল,পাবনা হয়ে উত্তরাঞ্চলের দিকে যায়। ফলে বিপদসংকেত নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাবে আগামীকাল রোববারও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী: বাংলাদেশ জুড়ে যা ঘটলো
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভারতের ক্রিকেট নিয়ে বেআইনি বাজি খেলায় হাত বদল হয় হাজার হাজার কোটি রুপি। ধোনি যখন আউট হলেন, তখন কোটি কোটি ভারত সমর্থক চরম হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছেন। কিন্তু একজন ভারতীয়ের উল্লাস তখন দেখার মতো। ভারতের সবচেয়ে জনবহুল একটি রাজ্যের এই লোকটির নাম ধরা যাক আরিয়ান। কারণ তিনি তার আসল নাম প্রকাশ করতে চান না। তিনি একজন পেশাদার বাজিকর বা 'বুকি', ক্রিকেট খেলা নিয়ে বড় অংকের বাজি বা 'বেটিং'এর এক বেআইনি চক্র চালান। তার যারা খদ্দের, তাদের বেশিরভাগই বাজি ধরেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত জিতবে বলে। এদের বেশিরভাগই স্থানীয় ব্যবসায়ী। কিন্তু তারা সবাই হেরেছেন। আর তাদের দুর্ভাগ্য থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান আরিয়ান। সেদিন তার আয় ছিল ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় পাঁচ লাখ রুপি বা সাত হাজার মার্কিন ডলার। আরও দুজন বুকি বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে রাজী হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের অভিযানের মুখে তারা শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসে। শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেট টেলিফোন কলের মাধ্যমে একমাত্র আরিয়ানই কথা বলেছেন বিবিসির সঙ্গে। ভারতে খেলা নিয়ে বাজি ধরা যদিও নিষিদ্ধ, কিন্তু অনেক রাজ্যেই এরকম বেটিং খুবই জনপ্রিয়। আরিয়ানের বয়স এখনো মাত্র বিশের কোঠায়, কিন্তু এই কাজ করছেন তিনি গত দশ বছর ধরে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট এই বুকিদের জন্য যেন রীতিমত একটি উৎসব। তবে আরিয়ান মনে করেন না, এই উৎসব খুব সহসা শেষ হয়ে যাবে। তবে ধরা পড়ার আতংকে থাকতে হয় তাদের। তবে ধরা পড়লেও ছাড়াও পেয়ে যান তাড়াতাড়ি। "আমরা সবসময় কয়েকদিনের মধ্যেই জামিন পেতে যেতে পারি। গত আইপিএলের সময় আমার কিছু বন্ধু ধরা পড়েছিল। কিন্তু তারা সবাই দশ-বারো দিনের মধ্যেই জামিন নিয়ে ফিরে আসলো, দ্বিগুণ উৎসাহে ব্যবসা শুরু করলো। মোবাইল ফোনের অ্যাপেই এখন বেশি বাজি খেলা হয়। আরিয়ান যেসব কথা বলেছেন, সে ব্যাপারে মুম্বাই পুলিশ বা ভারতের আইন মন্ত্রণালয় কোন মন্তব্য করতে চায়নি। আরিয়ান জানান, তিনি কারও সুপারিশ ছাড়া কখনো কোন নতুন খদ্দের নেন না। "এই ব্যবসা চলে আস্থা-বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। আপনার সঙ্গে যখন একজন মানুষের যোগাযোগ হয় এবং তার সঙ্গে আপনার লেন-দেন, অর্থবিনিময় হয় সততার ভিত্তিতে, তখন সেই লোক আপনাকে অন্য অনেক মানুষের কাছে সুপারিশ করবে।" "ধীরে ধীরে আপনার একটা নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। প্রথমে হয়তো পাঁচজন, তারপর দশজন, তারপর পনের... এভাবে আপনার একটা চেইন গড়ে উঠবে।" আরিয়ান অবশ্য এখন পুরোপুরি অনলাইনে চালান তার ব্যবসা। নানা ধরণের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করেন তিনি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে ঘিরে এখন নাকি ভারতে রীতিমত বাজি খেলার উৎসব চলছে। অনলাইনে তার বাজির ব্যবসা চালানোর ফলে গড়পড়তা বাজির অংকটা অনেক কমে এসেছে। আগে যখন সামনাসামনি বাজি ধরা হতো, তখন সর্বোচ্চ দুই লাখ ডলারও বাজি ধরতেন অনেকে। কিন্তু এখন বাজির অংক কমে আসলেও ব্যবসা কিন্তু রমরমা। ভারতের এই বেআইনি বাজির ব্যবসা কত বড় তা নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোন অনুমান করা কঠিন। কারও কারও মতে এটি সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার থেকে শুরু করে পনের হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে। কোন কোন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভারত যখন কোন ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলে, তখন উনিশ কোটি ডলারের বেশি লেন-দেন হয় বেআইনি বাজিতে। তবে আসল অংকটা যাই হোক, এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই যে, ভারতে খেলাধূলা নিয়ে যে বাজি ধরা হয়, সেটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় বাজির ব্যবসা। এমনকি ব্রিটেনের মতো দেশে, যেখানে খেলা নিয়ে বাজি ধরা আইনসিদ্ধ, তার চেয়েও বড়। ভারতে যেহেতু বাজিকরদের কোন কর দিতে হয় না, তাই অনেকেই এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। ভারতের কোন পেশাদার ক্রিকেটার বা খেলার সঙ্গে জড়িত ঘনিষ্ঠ কেউ কখনো তার সঙ্গে বাজি ধরেছে কীনা, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানালেন আরিয়ান। তবে ভারতে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ অনেক দিনের। সেখানে যে এরকম অনেক কিছু ঘটছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। ২০১৩ সালে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। মুম্বাই পুলিশ তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছিল, যার সঙ্গে বুকিদের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীকালে বিচারকদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি প্রমাণ পেয়েছিল যে আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং এবং বেআইনি বাজি ধরায় জড়িত আইপিএলের অনেক কর্মকর্তা। 'স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া'র পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য সিদ্ধার্থ উপাধ্যায় মনে করেন বাজি যদি আইনসিদ্ধ করে দেয়া হয়, তখন সবকিছুই অনেক স্বচ্ছতার মধ্যে হবে। "তখন সবাই জানবে কে বাজি খেলছে, কে খেলছে না", বলছেন তিনি। আর এ থেকে সরকারও অনেক কর আদায় করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এর মধ্যে প্রায় নয়শো কোটি ডলার বাজি ধরা হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট: ভারতে বেআইনি বাজি খেলায় শত কোটি ডলারের লেন-দেন হয় যেভাবে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। আমেরিকার সাহায্য সংস্থা কেয়ারের তৎকালীন ঢাকা অফিসে চাকরী করতেন এম এ মান্নান, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। তখন বয়সে তরুণ এম এ মান্নানকে অফিসের কাজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো। ওই দিন তাঁর কুষ্টিয়া যাওয়ার কথা। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ তখন কিছু হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করেছিল, যা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করতো। দুপুর দুইটা নাগাদ মি: মান্নান কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে আরোহণ করেন। ওই হেলিকপ্টারটিতে সব মিলিয়ে ২৪ জনের মতো যাত্রী ছিল। হেলিকপ্টারটি ঢাকা থেকে প্রথমে ফরিদপুর হয়ে পরে কুষ্টিয়া যাওয়ার কথা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'তখন সবাই ভয়ে চিৎকার করছিল আর দোয়া পড়ছিল' 'পরিবার চায়নি একমাত্র সন্তান পাইলট হোক' ঢাকা থেকে ফরিদপুর যেতে ২২ মিনিট এবং ফরিদপুর থেকে কুষ্টিয়া যেতে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা ছিল। বায়ান্নো বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মি: মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফরিদপুরের কাছাকাছি যখন হেলিকপ্টারটি পৌঁছায় তখন ওপর থেকে বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। "মুহূর্তের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি ঘুরতে-ঘুরতে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন আল্লাহকে ডাকছিলাম আর মায়ের কথা ভাবছিলাম," বলছিলেন মি: মান্নান। মাটিতে পড়ার পর ওই হেলিকপ্টারের মধ্যে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। প্রাণপণ চেষ্টা করে মি: মান্নান বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন ধানক্ষেতে কর্মরত কয়েকজন কৃষক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাদের বাড়িতে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হেলিকপ্টারে থাকা ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনই সেদিন মারা গিয়েছিলেন - একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী ছিলেন মি: মান্নান। অনেকটা অলৌকিকভাবে জীবিত থাকা মি: মান্নান ওই ঘটনা মনে করে এখনো নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কী করে ফাঁস হলো এটিসি আর পাইলটের কথোপকথন? বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে?
বাংলাদেশী প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান: ৫২ বছর আগে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একা বেঁচে গিয়েছিলেন যিনি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
কুয়াকাটায় ভেসে আসা তিমিটি দেখতে বহু লোক সৈকতে জড়ো হয় স্খানীয় প্রশাসন বলছে, এক বছর পর তিমিটির কংকালটি মাটি থেকে তুলে পর্যটকদের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। শনিবার ভোররাতের দিকে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় ভেসে আসা তিমিটি প্রথম দেখতে পান একদল পর্যটক। এর পর খবর ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ১৫ দিন আগে গভীর সমুদ্রে তিমিটি মারা গেছে। কলাপাড়ার স্থানীয় ফিশারিজ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, হয়তো সাগরে কোন জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে তিমিটি মারা গিয়ে থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, এত বড় তিমিটিকে কোথাও নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু মাটি চাপা অবস্থায় থাকলে এক বছর পর সহজেই তিমিটির কংকালটি অবিকৃত অবস্থায় সংগ্রহ করা যাবে এবং তখন এটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা যেতে পারবে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটির একজন সমন্বয়কারী ফারহানা আখতার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এটি একটি ব্রাইডস তিমি, যাদের দাঁত থাকে না তার বদলে মুখের ভেতর ছাঁকনির মতো একটা অংশ থাকে যাকে বেলীন বলা হয়। এ ধরণের তিমি ছোট মাছ ও চিংড়িজাতীয় প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। ব্রাইডস তিমি ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মত লম্বা হয়ে থাকে, ওজন হতে পারে ২৫ টন পর্যন্ত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হিটলার কি আসলেই ১৯৪৫ সালে মারা গিয়েছিলেন? মাসিহ'র হিজাব না পরা এবং তারপর হাওয়াই দ্বীপে আগ্নেয়গিরিতে প্রকৃতির খেলা কোলকাতায় হকার উচ্ছেদের বিকল্প উদ্যোগ লন্ডনের ন্যাচারাল মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে ৭৫ ফুট দীর্ঘ নীল তিমির কংকাল এই তিমিটিকে ১৮৯১ সালে ওয়েক্সফোর্ডে সাগরের তীরে পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো, ও ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার সাগরে এই ব্রাইডস তিমি দেখা যায়। ফারহানা আখতার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের জলসীমাতেও কখনো কখনো এই তিমিকে দেখা যায়। তিমির কংকাল সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত নতুন নয়। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে প্রায় ৭৫ ফুট লম্বা একটি তিমির কংকাল স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই কংকালটিও ১৮৯১ সালে সাগর থেকে ভেসে আসা একটি মৃত তিমি থেকেই পাওয়া। পরের বছর মিউজিয়াম এটি কিনে নেয়, এবং ১৯৩৮ সাল থেকে এটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসা ৪৫ ফুট লম্বা মৃত তিমিটির কংকাল সংরক্ষণ করার চেষ্টা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জ্বরের সঙ্গে আরো কোভিডের অন্য উপসর্গ দেখা গেলে নমুনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেই কিছুদিন ধরে শীতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ৭০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর আজ (মঙ্গলবার) গত ৫৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতেই টেস্ট বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে এখনো হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। এমনই একজন রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা রায়হান উদ্দিন রাসেল। সম্প্রতি দু'দিন জ্বরে ভোগার পর চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নমুনা টেস্ট করার জন্য পাঠান তিনি। রায়হান উদ্দিন জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি না পেয়ে হটলাইনে ফোন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে নিজে পজিটিভ হওয়ার কথা জানতে পারেন তিনি। "কৌতুহলবশত ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে এন্টার চেপে দেখি আমি পজিটিভ," বলেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কেন এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি যাতে করে আক্রান্ত রোগীরা তাদের টেস্টের রেজাল্ট অন্তত দ্রুততর সময়ের মধ্যে জানতে পারেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের করোনা ভাইরাস টেস্ট করা হয়েছে। গতকাল, যেদিন ৭০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, সেদিন পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৫ হাজারের বেশি নমুনা। আর গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্ট করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট করা হয়েছিল ১২ই নভেম্বর। সেদিন ১৭ হাজারের বেশি টেস্ট করা হয়েছিল। আর সর্বনিম্ন ৭ই নভেম্বর ১১ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ দৈনিক টেস্টের সংখ্যা এখনো গড়ে ১৫ হাজারের বেশি নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ধাপ সামলাতে এর চেয়ে আরো বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করাতে হবে। আর টেস্টের ফলাফল দিতে হবে সবচেয়ে দ্রুততর সময়ের মধ্যে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, প্রথম ধাপে পর্যাপ্ত মাত্রায় পরীক্ষা করা হয়নি বলে অনেকে বাদ পরে গেছেন। যার কারণে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আর তারাই সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি হারে ছড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, সেটি এখন বন্ধ করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন-ভিত্তিক র‍্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার করে নমুনা টেস্ট করাতে হবে। "যাতে আধা ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের রেজাল্ট দিয়ে রোগীকে বলা যায় যে তার কোভিড রয়েছে কিনা এবং তাকে আইসোলেশনে যেতে হবে কিনা," বলেন তিনি। সুচারুভাবে কন্টাক্ট ট্রেসিং মহামারির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি শর্ত বলেও মনে করেন তিনি। সেই সাথে প্রথম ধাপের মতো ভুল করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মি. আহমেদ বলেন, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের নিয়ম যথাযথভাবে পালন করতে হবে। "জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।" র‍্যাপিড টেস্টে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটে ফল পাওয়া যাবে। বর্তমানে সারা দেশে ১১৬টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬৬টি ল্যাব রাজধানী ঢাকায় এবং বাকি ৫০টি ল্যাব ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। সরকার বলছে, দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করার বিষয়েও সরকারের চিন্তা রয়েছে। তবে এগুলো কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে বলছিলেন আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন। "টেস্ট বাড়বে। তবে কতটা বাড়বে সেটা বলা যাচ্ছে না। অ্যান্টিজেন-ভিত্তিক র‍্যাপিড টেস্ট চালু হতে পারে," বলেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে এক লাখে ৫৫ জনের নমুনা টেস্ট করা হয়। এরমধ্যে ঢাকায় টেস্টের হার সবচেয়ে বেশি যা প্রায় ৬০ ভাগের মতো। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের নতুন সুযোগ: যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের? খাদ্য তালিকায় যেভাবে জায়গা করে নিলো বিদেশি মুরগি
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে দরকার র‍্যাপিড টেস্ট, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মুশফিকের ঠিক পেছনেই নাসুম আহমেদ প্রথমবার দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে, নাসুমের বল সার্কেলের ভেতরে ঠেলে দিয়ে রান নেন আফিফ। নাসুম ও মুশফিকুর রহিম বলটি ধরতে ছুটে যান। এরপর মুশফিককে দেখা যায় বল ধরেই মারের মতো ভঙ্গি করেন নাসুমের দিকে। এরপর তাকে স্ট্যাম্পের পেছনে থাকার ইশারা করেন মুশফিকুর রহিম। এরপর ১৭তম ওভারে আফিফ হোসেন পুল করলে বল শর্ট ফাইন লেগের দিকে বল যায়, মুশফিকুর রহিম বলটি ধরতে দৌঁড় দেন, একই জায়গায় ফিল্ডার ছিলেন নাসুম আহমেদ। তিনিও বলটি ধরতে যান প্রথমে, কিন্তু পরে মুশফিককে দেখে পিছিয়ে যান। তখন মুশফিক ক্যাচটি ধরে নাসুমের দিকে আবারও একই ভাবে মারার ভঙ্গি করলে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আরো পড়ুন: 'পাকিস্তান সফরে যেতে মুশফিকের ওপর চাপ দেয়া হয়নি' বিডার 'সানি লিওন', মুশফিকের ব্যাটের নিলাম নিয়ে কী হচ্ছে? উইকেট রক্ষণে নড়বড়ে মুশফিক, ব্যাটিংয়ে পড়ছে প্রভাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মুশফিকুর রহিমের এই আচরণের সমালোচনা করছেন। তবে মুশফিকুর রহিমের সতীর্থ নাসুম আহমেদ এনিয়ে খুব বেশি খোলাসা করেননি। তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ম্যাচে কিছুই হয়নি, আমরা খেলেছি জিতেছি, এর বাইরে যেটা হয়েছে সেটা ম্যাচের মধ্যে রাগের মাথায় হতেই পারে।" "পার্ট অফ দ্য ম্যাচ," বলেছেন নাসুম আহমেদ। নাসুম আহমেদ বলেছেন, এখানে খুব গুরুতর কিছু হয়নি। যা হয়েছে মাঠে এগুলো হয়ই। এর আগে নাসুম আহমেদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও, নির্বাচকদের রাডারে আছেন এই স্পিন বোলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ থেকেও এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি। ম্যাচের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা অনুনাষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, আম্পায়াররা এবিষয়ে কোন রিপোর্ট করেননি। মাঠের আম্পায়াররা রিপোর্ট করলে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
ক্রিকেট: মুশফিকুর রহিম সতীর্থের দিকে দুবার মারমুখী ভঙ্গিতে, কী বলছেন নাসুম?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
তাকে দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় সুষমা স্বরাজের এই মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ওই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, "ভারতীয় রাজনীতির একটি দুর্দান্ত অধ্যায়ের শেষ হল। ভারত তার এক অসাধারণ নেতার মৃত্যুতে শোক করছে, যিনি মানুষের সেবা এবং দরিদ্রদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।" "সুষমা স্বরাজ অনন্য ছিলেন, তিনি কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। সুষমা জি ছিলেন একজন দুর্দান্ত বক্তা এবং দুর্দান্ত সংসদ সদস্য। তিনি সব পক্ষের কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন। তিনি কখনও বিজেপির আদর্শ ও আগ্রহ নিয়ে আপোস করেননি। বিজেপির উন্নয়নে তিনি বড় অবদান রেখেছেন।" মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও টুইট করে শোক প্রকাশ করেন। আরো পড়তে পারেন: হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেবে বাংলাদেশ: সুষমা স্বরাজ সুষমা-খালেদা বৈঠকে জোর ‘গণতান্ত্রিক পরম্পরা’য় ভারতীয় রাজনীতিবিদ হওয়ার গুণ নেই সুষমা স্বরাজের? এক টুইট বার্তায় সুষমা স্বরাজের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গত বছর সুষমা স্বরাজ ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এই ঘোষণার পরে, সুষমার স্বামী এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বরাজ কাউশাল বলেছিলেন, "মিলখা সিংও কিছু সময়ের পরে দৌড় বন্ধ করেছিলেন। আর আপনি তো গত ৪১ বছর ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।" সুষমা ২৫ বছর বয়সে রাজনীতিতে আসেন। তার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন লাল কৃষ্ণ আদভানী। কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ, সুষমা স্বরাজকে স্মরণ করে বলেন, "আমি সর্বদা জিজ্ঞাসা করতাম যে একজন বোনের কেমন হওয়া উচিত আর তিনি পাল্টা প্রশ্ন করতেন যে একজন ভাইয়ের কেমন হওয়া উচিত। আমরা একটি বোন হারিয়েছি। তিনি দুর্দান্ত বক্তা ছিলেন, তিনি সর্বদা স্মরণে থাকবেন। '' কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "তিনি আমার বড় বোনের মতো ছিলেন, তিনি দলে, সরকারে, ঘরে আমাকে ছোট ভাই হিসাবে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। সুষমা জি পার্টিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। '' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গাদকরী বলেছেন যে, "তিনি বিশ্বজুড়ে ভারতের মর্যাদা বাড়ানোর কাজটি করেছিলেন। তার ঘাটতি কখনও পূরণ করা যাবে না।" বিজেপির নির্বাহী সভাপতি জে পি নদ্দা বলেছেন, "শ্রদ্ধেয় সুষমা জি আমাদের মধ্যে নেই, তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন যেন আমরা রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারি।'' সুষমা স্বরাজের মরদেহ বুধবার দুপুর বারোটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত শেষবারের মতো দেখার জন্য দলীয় কার্যালয়ে রাখা হবে। এরপর লোধি রোডের শ্মশানঘরে জাতীয় সম্মানের সাথে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানান জেপি নদ্দা। এদিকে এ ঘটনায় বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেন বলেছেন, "সুষমা স্বরাজের মৃত্যু দলের জন্য, দেশের জন্য এবং পাশাপাশি আমার জন্যও অনেক বড় ক্ষতি। আমি তার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, ভাবতেও পারিনি।" সুষমা স্বরাজের গল্প ... সুষমা স্বরাজকে একজন বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী বক্তা, কার্যকর সংসদ সদস্য এবং দক্ষ প্রশাসক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একটা সময় ছিল যখন প্রমোদ মহাজন এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরে বিজেপির সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে সুষমা স্বরাজকেই ধরা হতো। গত চার দশকে তিনি ১১ বার নির্বাচন করেছেন এবং তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সুষমা সাতবার সংসদ সদস্যও হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী থেকে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে লাল কৃষ্ণ আদভানীর প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এই প্রচারে তিনি শেষ অবধি আদভানীকে সমর্থন করেছিলেন। তবে ২০১৪ সালে মোদীর জয়ের পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। মোদীর বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকরা বিশ্বাস করেছিলেন যে, সুষমা ভবিষ্যতে এই অপরাধের জন্য শাস্তি পাবেন। ইন্দিরা গান্ধীর পরে সুষমা স্বরাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত দ্বিতীয় নারী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সুষমা স্বরাজ টুইটারে বেশ সক্রিয় ছিলেন। মৃত্যুর মাত্র তিন ঘণ্টা আগেও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন তিনি।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মারা গেছেন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বলিউডে 'মি টু' আন্দোলন শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের আনা এক অভিযোগের মধ্য দিয়ে বলিউডে মি টু আন্দোলনের সূত্রপাত হয় যখন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত তার সাথে দশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক যৌন হয়রানির অভিযোগ সামনে নিয়ে আসেন। একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন সময় সহ অভিনেতা নানা পাটেকারের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন তনুশ্রী। যদিও নানা পাটেকার সেসময় দাবি করেছিলেন যে তনুশ্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। তার পর থেকে বলিউডের সাথে অন্তত ৬০ জনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা শিল্পী ও কলাকুশলীরা। প্রতিবাদে সমর্থন করেছিলেন যারা তনুশ্রী দত্তের অভিযোগের পর বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা শিল্পী যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করা শিল্পীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তবে যারা নিজেদের ঘটনা মিডিয়ার সামনে আনতে শুরু করেছিলেন শুধু তাদের পক্ষেই নন, যেসব নারীরা সামাজিক চাপ এবং কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় চুপ থেকেছেন, তাদের সমর্থনেও কথা বলেন অনেক অভিনেতা ও অভিনত্রেী। আরো পড়তে পারেন: যৌন হয়রানির বিষয়ে কেন মুখ খোলেনা মেয়েরা? কর্মক্ষেত্রে অর্ধেক নারীই যৌন হয়রানির শিকার: বিবিসির জরিপ ‘মি টু’ কি সত্যিই যৌন নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে? চাকরি হারানো বা পেশাগত দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ভয়ে বলিউডের অনেক নারী যৌন হয়রানির বিষয়ে মুখ খুলতে চান না বলে মনে করেন রাধিকা আপ্টে "যেসব নারীরা তাদের সাথে হয়ে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা প্রকাশে সাহস পান না, তাদের প্রতিও পূর্ণ সহানূভুতি রয়েছে আমার", বলেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে। "কারণ খুব একটা পরিচিত নন এমন অনেক শিল্পীই দ্বিধা করেন এই ভেবে যে, 'আমি এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেই বা কতটা পরিবর্তন আনতে পারবো।'" আর চাকরি হারানো বা পেশাগত দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে অধিকাংশ নারী এ ধরনের বিষয় প্রকাশ করতে চান না বলে মনে করেন রাধিকা আপ্টে। হলিউডে মি টু আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর ভুক্তভোগী নারীদের সমর্থনে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা যেরকম অবস্থান নিয়েছিলেন, বলিউডেও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আন্দোলন আরো সফল হতো বলে সেসময় মন্তব্য করেছিলেন রাধিকা আপ্টে। তবে বলিউডের পুরুষ তারকাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই তাদের নারী সহকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাবা অবরোধ: সৌদির ইতিহাস পাল্টে দেয়া ঘটনা দল আর সরকার, লাইন টানছে আওয়ামী লীগ? নাগরিকত্ব আইন: মোদির বিরুদ্ধে লড়ছেন যে তিন নারী ২০১৯: বাংলাদেশে আলোড়ন তুলেছিল যে ঘটনাগুলো বলিউডের পুরুষ তারকাদের মধ্যে খুব কমই মি টু আন্দোলনের সময় সোচ্চার ছিলেন, যাদের মধ্যে একজন ফারহান আখতার 'মি টু' আন্দোলন সমর্থন করা অভিনেতা ফারহান আখতার মনে করেন নারীরা এসব বিষয়ে যত বেশি সাহসী হয়ে মুখ খুলতে শুরু করবেন, তত দ্রুত নারীদের প্রতি যৌন হয়রানির ঘটনা মোকাবেলা করা সহজ হবে। তবে তারকাখ্যাতিতে অনেক এগিয়ে থাকলেও অনেক নারীই এ ধরণের ঘটনা জনসম্মুখে আনার ক্ষেত্রে নানা ধরণের সঙ্কোচে ভোগার কারণ ব্যাখ্যা করেন অভিনেত্রী ও মডেল কাল্কি কোয়েচিন। "আমি যদি এখন একাট যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলি, তখন সাথে সাথেই হয়তো সেটি বড় একটি হেডলাইন হবে। কিন্তু একই সাথে পরিচিত-অপরিচিত অনেক মানুষ আমার চরিত্র নিয়ে কাঁটাছেড়া শুরু করবে বা উল্টো আমাকেই দোষারোপ করবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য কমেন্ট, ট্রল, কানাঘুষা দেখতে হবে আমার। একটা নারীর জন্য এরকম পরিস্থিতি সত্যিই অস্বস্তিকর।" পরিস্থিতির কী কোনো পরিবর্তন হয়েছে? প্রযোজক ভিন্তা নন্দা গত বছর অভিযোগ তোলেন যে ১৯৯৯ সালে অভিনেতা অলক নাথ তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। অলক নাথের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। জবাবে অলক নাথও অভিযোগ অস্বীকার করে মানহানির মামলা করেন ভিন্তা নন্দার বিরুদ্ধে। তবে অলক নাথকে গ্রেফতার না করেই জামিন মঞ্জুর করে আদালত। জামিন দেয়ার সময় বিচারক মন্তব্য করেন যে তাকে ফাঁসানো হয়ে থাকতে পারে। নিজের সাথে হওয়া ঘটনা প্রকাশ না করলেও মি টু আন্দোলনের সমর্থনে ছিলেন কাল্কি কোয়েচিন ভিন্তা নন্দা মনে করেন মি টু আন্দোলনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছিল এবং এখনও সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিকই আছে। এটিকে আইনি স্বীকৃতি দিতে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার কারণে অনেকেই কাজের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিনেতা ও পরিচালক কঙ্কনা সেন শর্মা। "অপেক্ষাকৃত কম তারকাখ্যাতি সম্পন্ন বা কম ক্ষমতাশালী এমন অনেক নারীই আছেন যাদের অভিযোগ তোলার পর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকে হাস্যরসের শিকারও হয়েছেন।" কঙ্কনা বলেন, "এক্ষেত্রে আপনি কতটা ক্ষমতাশালী বা কতটা ক্ষমতাশালী মানুষের সাথে আপনার যোগাযোগ রয়েছে, তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার ভবিষ্যত কী হতে যাচ্ছে।" তবে শীর্ষ পর্যায়ের শিল্পীরা এই আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হলেই কেবল এর সফলতা লাভ সম্ভব বলে মনে করেন ভিন্তা নাথ। "বলিউডের শীর্ষ সারির শিল্পীদের অর্থ বা সম্মান হারানোর ভয় নেই। যেদিন অন্তত একজন শীর্ষ সারির শিল্পী এই আন্দোলনের সমর্থন করবে, আমি বলবো যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে।"
যৌন হয়রানির প্রতিবাদে হওয়া 'মি টু' ক্যাম্পেইন কি বলিউডে পরিবর্তন আনতে পেরেছে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ঢাকার দুটি স্থান থেকে একইদিনে বোমা উদ্ধারের ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ইসলামিক স্টেট গ্রুপের কর্মকাণ্ড নজরদারি করে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স একটি টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে। আইএস দাবি করেছে যে ঢাকার দুটি পুলিশ চেক পয়েন্টে হামলার উদ্দেশ্যে এই বোমা দুটি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে পুলিশের পক্ষ থেকেও আইএস সম্পৃক্ততার তথ্যটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বিস্ফোরণের আগেই গত বুধবার রাতে খামারবাড়ি ও পল্টন এলাকা থেকে বোমা দুটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। "এর পেছনে আইএস, জেএমবি বা কোন সংঘবদ্ধ দল জড়িত কি-না - তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে," বিবিসি বাংলাকে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ কমিশনার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন। এখন পর্যন্ত তারা সন্দেহভাজন কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি। এ ব্যাপারে মিস্টার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আগে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে আমরা কিছু ধরণ দেখেই বলে দিতে পারতাম যে এটা কাদের কাজ হতে পারে। কিন্তু এবারের ঘটনাগুলো আইডেন্টিকাল না।" "আমরা বিভিন্ন তথ্য, সংগঠনগুলো কার্যক্রম সেগুলো অ্যানালাইসিস করছি। কিন্তু আমাদের হাতে আসা তথ্যের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রশ্নে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে।" তিনি বলেন, "তাই আমরা পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গণমাধ্যমকে সব জানানো।" মিস্টার হোসেনের মতে, আইএস যে ধরণের বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করতো সেগুলোর 'মেকানিক্যাল ফিচারে বেশ মিল থাকতো। কিন্তু এবারে তেমনটা দেখা যায়নি'। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পুলিশের ওপর ককটেল হামলার দায় স্বীকার 'আইএসের' মালিবাগে পুলিশ ভ্যানে বিস্ফোরণ, পুলিশসহ আহত দুই বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে? পুলিশ বলছে, বোমা দুটোয় যে ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে সেটা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। (ফাইল ছবি) যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল বোমা দুটি গত ২৪শে জুলাই রাত ১২টার দিকে খামারবাড়ি মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের কাছে থেকে এই বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার মেট্রোরেল কর্মীরা সন্দেহজনক এই বস্তুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি উদ্ধার করে। এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকার পল্টন মোড় এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কাছ থেকে আরেকটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। একটি বাদামি কার্টনে বোমাটি ঢাকা অবস্থায় ছিল। পরে দুটি বোমারই 'নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ' ঘটান বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা। পুলিশের চেক পয়েন্টের বাইরে থেকে এই বোমা পুঁতে রাখার বিষয়ে আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে সাইট ইন্টেলিজেন্সের টুইট বার্তায় দাবি করেছে। কতটা শক্তিশালী উদ্ধারকৃত এই বোমা দুটি এরইমধ্যে প্রাথমিকভাবে দুটি বোমার আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে যে সেগুলো একই ধরণের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর কারিগর একই ব্যক্তি হতে পারে। পুলিশ বলছে, বোমা দুটোয় যে ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে সেটা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এ ব্যাপারে মিস্টার হোসেন বলেন, "বোমা দুটির আকার অনুযায়ী সেটার বিস্ফোরক ক্ষমতা তেমন বেশি ছিল না। যদি বোমা বিস্ফোরণের সময় খুব কাছাকাছি কেউ থাকতো ক্ষতির শিকার হতো। তবে খুব বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির কোন চান্স ছিল না।" তদন্তের জন্য একটি দুর্ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। অন্য হামলার সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে? এই বোমা স্থাপনের সঙ্গে সম্প্রতি মালিবাগ ও পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত ৩০শে এপ্রিল গুলিস্তানে ও গত ২৬শে মে রাতে মালিবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে 'শক্তিশালী' ককটেল বোমা হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের এক নারী এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য ও একজন রিকশাচালক আহত হয়েছিল। ওই দুটো ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার দায় আইএস স্বীকার করলেও পুলিশ সে সময় তা অস্বীকার করে। তাদের দাবি, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হতে পারে। এবারের বোমা উদ্ধারের ঘটনাতেও একই মন্তব্য করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের এই উপ কমিশনার। আরও পড়তে পারেন: শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা: সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম কেন বন্ধ করা হলো? কাশ্মীরে আধাসামরিক কনভয়ে বোমা হামলা, নিহত ৩৪ মিস্টার হোসেন বলেন, "আমাদের কাছে যেটা মনে হচ্ছে যে এটা আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আর মিডিয়াতে কভারেজ পাওয়ার জন্য একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এমন কাজ করেছে, যা আগে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যকলাপের সাথে মেলে না।" "আইএসের কথাই যদি বলি, তারা সাংগঠনিকভাবে যেরকম অর্গানাইজড ছিল, সেরকম কিন্তু এখন আর নেই।" এছাড়া গুলিস্তান ও মালিবাগের হামলায় যে ধরণের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলোর সঙ্গে এবারের উদ্ধারকৃত দুটি ডিভাইসের কোন মিল নেই। "তাই মেকানিক্যালি বিবেচনা করলে বা ডিভাইসের শক্তির মাত্রা বিবেচনা করলে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে দুটো ঘটনার মধ্যে সূত্র আছে,"- বলেন মিস্টার হোসেন।
ঢাকায় পুলিশ বক্সের কাছে দুটি বোমা পুঁতে রাখার দায় স্বীকার 'আইএসের'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা 'বস' সহানশীল না হলে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটি প্রতিষ্ঠানে যার সরাসরি তত্বাবধানে আপনি কাজ করেন ঐ ব্যক্তির মানসিকতা না বুঝতে পারলে নিশ্চিতভাবে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হবেন আপনি। কাজেই নিজের পেশাগত উন্নয়নের স্বার্থেই আপনার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করা আপনার জন্য জরুরি। পেশাগত জীবনে যে কোনো ধরণের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন জুগিয়ে ও তাঁর সাথে সমঝোতা করে কীভাবে এগিয়ে চলতে হয় সেবিষয়ে একটি বই লিখেছেন ম্যারি অ্যাবাজে, যেখানে 'বস'দের সাথে সুষ্ঠ ও কৌশলগত যোগাযোগকেই তাঁদের সাথে সুম্পর্কের প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। মিজ. অ্যা্বাজে বলেন, "আপনার বসের ব্যবহার আপনার পছন্দ না হলেও কিছু করার নেই, কারণ তিনি তাঁর এই ব্যবহার ও কাজ দিয়েই প্রতিষ্ঠানে আজ আপনার বস হয়েছেন।" উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজের কর্মপদ্ধতি, মানসিকতা ও ব্যবহার পরিবর্তন করা জরুরি বলে মনে করেন মিজ. অ্যাবাজে। আরো পড়তে পারেন: ইরানের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কীভাবে পৃথিবী রক্ষায় অবদান রাখবেন? ভারত কি মুসলিমদেরও দেশ নয়? আলোচনায় 'মুল্ক' "অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাকেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর অবদান এবং সাফল্যের ভিত্তিতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। তাঁরা কতটা সুদক্ষভাবে কর্মীদের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকেন, সাধারণত সেবিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না।" "কাজেই আপনার 'বস' কি ধরণের ব্যক্তি, আপনার কাছ থেকে তিনি কি আশা করেন এবং তাঁর সাথে কার্যকর যোগাযোগের জন্য আপনি কি করতে পারেন এই বিষয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। তাহলে আপনি এবং আপনার 'বস' দু'জনই প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম হবেন", বলেন মিজ. অ্যাবাজে। কর্মচারীর যুক্তিতে 'সঠিক', কিন্তু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মতে 'বেঠিক' - অধিকাংশ সময় এরকম দোটানায় জড়িয়েই 'বস'এর সাথে কর্মচারীর দ্বন্দ্ব তৈরী হয়ে থাকে বলে মনে করেন মিজ. অ্যাবাজে। এসব ক্ষেত্রে আত্মাভিমান কর্মচারীর পেশাগত উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মন্তব্য করেন মিজ. অ্যাবাজে। এরকম সময়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে ঐ সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে কারণ বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তবে অনেকক্ষেত্রে এসব কৌশলের কোনোটাই কাজ করে না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপ সংস্থা গ্যালপ'এর গবেষণা অনুযায়ী সেদেশে কাজ করা জনসংখ্যার অর্ধেকই জীবনের কোনো না কোনো সময় চাকরি ছেড়েছেন তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্বে। "কয়েক ধরণের 'বস'এর সাথে আপনি কখনোই পেরে উঠবেন না", বলেন মিজ. অ্যাবাজে। "একধরণের বস হলো যারা নিজেদের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে করেন, যাদের আত্ম অহঙ্কার প্রবল।" "আর আরেক ধরণের হলো যারা আপনাকে সবসময় দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। আপনি যাই করেন না কেন তাঁরা আপনার সমালোচনা করবে। এধরণের 'বস' আপনার নিজস্ব উন্নয়নের জন্য খুব বিপজ্জনক।" মিজ অ্যাবাজে'র মতে এ ধরণের কর্মকর্তার অধীনে কাজ না করাই শ্রেয়।
চাকরিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা বস 'ভয়াবহ' হলে কী করবেন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
এটি সম্প্রতি সিলেটের নির্বাচনের সময় তোলা ছবি। বুধবার বিকেলে তার সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির কাছে কোনও আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে তিনি যাবেন না এবং কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারেও সরকারের কিছু করণীয় নেই - সেখানে যা হবার তা আইনি প্রক্রিয়াতেই হবে। এর আগে বিএনপি দাবি জানিয়েছিল, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং সেই সঙ্গে সরকার ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশের জন্য দু:খজনক হলো এটা যে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগি ও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। তার মতে, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো তখন পরপর কয়েকটা মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিলো "কিন্তু এরপর থেকে অবাধ মুক্ত নির্বাচন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির বক্তব্যও পরস্পরবিরোধী।" তিনি বলেন, দেশে একটি অস্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট কি বাড়ছে? 'কিছু হলে সব উত্তর পাড়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে' নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি নির্বাচনে ইভিএম কীভাবে কাজ করে? সাম্প্রতিক নির্বাচনে বরিশাল থেকে তোলা ছবি। "২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো করতে পারবেন কিন্তু তাতে রাজনৈতিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।" কিন্তু বিএনপির সামনে আর কি কি পথ খোলা রয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, "আমাদের রাজনীতিই দুটি দলের ভেতরে পরস্পরের বিপরীতমুখী দাবি দাওয়ার মধ্যে আটকে পড়েছে।" "কিন্তু আমরা জনসাধারণ চাইবো লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে মানে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। এটা যৌক্তিক দাবি"। তার মতে, "প্রধানমন্ত্রীর কথাই শেষ কথা নয় বরং পর্দার আড়ালে আলোচনা হতেই পারে। সরকার পক্ষের দায়িত্ব বেশি সেহেতু তারাও একটি প্রস্তাব দিতে পারেন।" দিলারা চৌধুরী বলেন, "সত্যিকারের বাধা হলো বর্তমান সংবিধানে নির্বাচনী সরকার ও নির্বাচনী কমিশনই বড় বাধা। এগুলো সরিয়ে দিলে হয়তো বিএনপি সমঝোতা করতে পারে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল মুঘল সম্রাজ্ঞী নুরজাহান কেন নারীবাদীদের 'আইকন' সিউলের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা ধরার অভিযান
বাংলাদেশের নির্বাচন: '২০১৪'র মতো নির্বাচন হয়তো হবে কিন্তু তাতে সংকট বাড়বে, আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে এই ঘটনায় নিহত তরুণী ভারতে 'নির্ভয়া' নামে পরিচিতি পেয়েছিল - আর চাঞ্চল্যকর সেই মামলার পর ভারতে বদলে গিয়েছিল ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তিও। আগামী ২২ শে জানুয়ারি সকাল ৭টায় ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজন ব্যক্তি --- পবন গুপ্ত, মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিংহকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে নির্ভয়ার পরিবার যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলো। আরো পড়তে পারেন: 'নির্ভয়া'র ধর্ষণকারীদের ফাঁসির দন্ড বহাল ধর্ষণ মোকাবেলায় ভারতের বিচার ব্যবস্থা কতটা কার্যকর 'নির্ভয়া' ধর্ষণের নৃশংসতাকেও যা হার মানাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জিও জানিয়েছিলেন নির্ভয়ার মা-বাবা। গত ১৮ই ডিসেম্বর সেই আবেদনের শুনানি শুরু হলে, ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ অরোরা। সেসময় আদালতের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। বিচারককে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, "যেখানেই যাচ্ছি অপরাধীদের অধিকারের কথা শোনানো হচ্ছে আমাদের। আমাদের অধিকারের কী হবে?" "আইনের কাছে আমাদের হাত-পাও বাঁধা", বলে সেসময় তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন বিচারক। তার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু হয়। দিল্লির তিহার জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের সঙ্গে কথা বলে চারজন দোষী। নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনায় ভারত জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের বক্তব্য শোনার পর বিকাল ৫টা নাগাদ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করেছিল ওই চার জন। গণধর্ষণের পর শারীরিক নিপীড়ন চালিয়ে নগ্ন অবস্থায় চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নির্ভয়াকে। নির্ভয়া এবং তার পুরুষ বন্ধুর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় তারা। সেই মামলায় আগেই ওই চার জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে হত্যার দায়ে ছয় আসামির মধ্যে চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট চারজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ২০১৭ সালে সেই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল অন্যতম অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর সিং। গত মাসেই অবশ্য তার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণ: দোষীদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি, ২২শে জানুয়ারি ফাঁসি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সাড়ে ছয় লাখ বছরেরও বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে ডাইনোসর কিন্তু আমাদের অজান্তেই আমাদের চারপাশের অনেক প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাণীবৈচিত্র রক্ষায় কাজ করা বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের এক হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউডব্লিউএফএন অবশ্য বলছে প্রকৃতিতে এখন কত প্রজাতির প্রাণী বেঁচে আছে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই মানুষের। যেকারণে ঠিক কত প্রানী বিলুপ্ত হচ্ছে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট হিসাবে দেয়া কঠিন। আসছে ৩০শে নভেম্বর বিশ্বব্যাপী হারিয়ে যাওয়া বা বিলুপ্ত প্রাণীদের স্মরণ করা হবে। তার আগে চলুন পরিচিত হই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া যেসব প্রাণী আবার ফিরে এসেছে তাদের কয়েক প্রজাতির সঙ্গে: মিস ওয়াল্ড্রন'স রেড কোলোবাস (ঘানা ও আইভরি কোস্ট) জানজিবার রেড কোলোবাস বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মিস ওয়াল্ড্রন'স রেড কোলোবাসের সমগোত্রীয় এই লাল মাথা ওয়ালা বানর বিলুপ্ত হয়েছে ২০০০ সালের দিকে। ঘানা আর আইভরি কোস্ট সীমান্তে এদের বাস। মিস ওয়াল্ড্রন'স রেড কোলোবাসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর কোন বুড়ো আঙুল নেই। সাধারণত ঘন জঙ্গলে দল বেধে বাস করতো এই প্রাণী, যে কারণে জঙ্গলের আকার কমে আসার সাথে সাথে এদের সংখ্যাও কমে যেতে শুরু করেছিল। আর সেই সঙ্গে তাদের প্রজনন ক্ষমতা ও বংশবৃদ্ধির সাধারণ প্যাটার্ন অন্যদের চাইতে ধীর হবার কারণে তারা এক সময় বিলীন হয়ে গিয়েছিল। ইয়াংজি রিভার ডলফিন (চীন) বাইজি নামের চীনা নদীর এই ডলফিনকে মনে করা হতো স্বাদুপানির অন্যতম প্রাচীন জলজ প্রাণী ২০০৬ সালে এই ডলফিনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ইয়াংজি নদীর এই ডলফিন দেখতে ফ্যাকাসে ও ছাইরঙা, অন্য ডলফিনদের তুলনায় দেখতে তেমন আকর্ষণীয় নয়। জলজ প্রাণীর অবস্থান সম্পর্কে নিখুঁত ধারণা দিতে পারত এই ডলফিন। চীনের নদীতে মৎসজীবী এবং অন্য ব্যবসায়ীদের নৌকার শব্দ, দূষণ আর খাবারের অভাব বেড়ে যাওয়ায় এদের শান্ত নিরিবিলি জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। এই প্রজাতির ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ক্যারিবিয়ান সন্ন্যাসী সীল (জ্যামাইকা ও নিকারাগুয়ার সেরানিলা তীর) হারিয়ে যাওয়া সীলটি এই প্রজাতির কাছাকাছি গোত্রের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেই বাস করতো এই প্রজাতির সীল। মেক্সিকো উপসাগর, সেন্ট্রাল অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূল এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকার উত্তর উপকূলে পাওয়া যেতো এই প্রাণী। কিন্তু তাদের শরীরের চর্বি গলিয়ে তেল বানানোর জন্য ক্রমে তারা শিকারিদের হাতে মারা পড়তে শুরু করলো। আর সেই সঙ্গে তাদের খাবারের উৎস যে সামুদ্রিক মাছ তার সংখ্যাও কমে যেতে থাকলো। আরো পড়ুন: জঙ্গিবাদ দমনে বিনিয়োগ বেড়েছে, কিন্তু কৌশল সেই পুরনো কলম্বিয়ায় আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ডিলান কে? ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটার সাইফের জরিমানা ১৯৫২ সালে জ্যামাইকা এবং নিকারাগুয়ার সেরানিলা তীরে তাদের সর্বশেষ দেখা গেছে। অ্যালাবামা পিগটো (যুক্তরাষ্ট্র) চেক রিপাবলিকের নদীর ঝিনুক ২০০৬ সালের আগে পর্যন্ত এই জাতের ঝিনুক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার নদীতে পাওয়া যেত। এর নামকরণের কারণ এটি দেখতে অনেকটাই শূকরের পায়ের মত, সাধারণত নদীর দূষণ ঠেকাতে কার্যকর এই ঝিনুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দূষণের কারণেই বিলীন হয়ে গেছে তারা। এতে বোঝা যায় সেখানকার পানিতে কতটা বিপজ্জনক মাত্রার রাসায়নিক রয়েছে। ডোডো (মরিশাস) ডোডো এখন আর দেখা যায় না বিলীন হওয়া পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে নামী পাখি ডোডো। ডাইনোসরের মতোই বহু আগে এই পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেচে। মরিশাসে যখন মানব বসতি ছিল, তখন খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়েই বিলীন হয়েছে উড়তে না পারা এই পাখি। ১৭০০ সালের শেষের দিকে সর্বশেষ এই পাখি দেখা গেছে। স্টেলারস সি কাউ (আলাস্কা এবং রাশিয়ার মধ্যবর্তী সামুদ্রিক অঞ্চল) ১৭৪১ সালে বেরিং দ্বীপে দেখা স্টেলারস সি কাউ এই জাতের সীল আকারে বিশাল ছিল, প্রাপ্তবয়স্ক স্টেলারস সি কাউ নয় মিটার পর্যন্ত লম্বা হত। এর আকৃতি এবং শরীরে চর্বির পরিমানের জন্য শিকারীদের নজর সব সময়ই এদের ওপর ছিল। ১৭ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এদের দেখা গেছে। কোয়াগা (দক্ষিণ আফ্রিকা) এই আমস্টারডাম কোয়াগাটি ১৮৮৩ সালে একটি চিড়িয়াখানায় মারা যায় আমস্টারডাম কোয়াগা নিজের সৌন্দর্যের কারণেই বিলীন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আফ্রিকান এই প্রাণীটির শরীরের প্রথম অংশ জেব্রার মত, কিন্তু এর শরীরের ডোরাকাটা দাগগুলো শরীরের পেছনের অংশে অনেকটাই হালকা হয়ে ঘোড়ার মত হয়ে গেছে। সর্বশেষ আমস্টারডাম কোয়াগাটি ১৮৮৩ সালে এক চিড়িয়াখানায় মারা যায়। আইরিশ এলক আইরিশ এলক সাধারণ এলকের চেয়ে অনেক বড় ছিল আইরিশ এলক বা আইরিশ হরিণ সাধারণ এলকের মতই দেখতে ছিল, কিন্তু আকারে ছিল অনেক বড়। উচ্চতায় দুই মিটার লম্বা এবং সাড়ে তিন মিটারের বেশি হত এর শরীরের দৈর্ঘ্য। প্রায় ৭,৭০০ বছর আগে এটি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। সাদা লেজওয়ালা ঈগল (যুক্তরাজ্য) নরওয়েতে সাদা লেজওয়ালা ঈগল শেষ করা যাক একটি ভালো খবর দিয়ে, যুক্তরাজ্যে বিংশ শতকের শুরুতে প্রায় বিলীন হয়ে যায় সাদা লেজওয়ালা ঈগল। কিন্তু এই দারুণ দেখতে পাখিটি যার ডানার বিস্তৃতি দুই মিটার পর্যন্ত হয়। ব্রিটেনে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, এখন ইউরোপের অন্য দেশে দেখা যাচ্ছে এই পাখি। কিন্তু এই পাখির মত ভাগ্যবান নয় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অন্য প্রাণীগুলো।
গত শতকে বিলুপ্ত হওয়া যেসব প্রাণীকে আর কখনো দেখা যাবে না, আর হারিয়ে যাবার পর ফিরে এসেছে যে প্রাণী
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
তালেবান যোদ্ধাদের ২০০৮ সালের ছবি কিন্তু আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র কেনো যুদ্ধ করছে এবং এটি এতো দীর্ঘায়িত হলো। সেপ্টেম্বর ১১ হামলা ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলায় আমেরিকাতে নিহত হয়েছিলো প্রায় তিন হাজার মানুষ। আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকেই এজন্য দায়ী করা হয়। তালেবান ইসলামি উগ্র গোষ্ঠী যারা আফগানিস্তান শাসন করছিলো ও বিন লাদেনকে সুরক্ষা দিচ্ছিলো। তারা তাকে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানালো। ৯/১১ এর এক মাস পরে আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র। আরও দেশ যোগ দিলো সেই যুদ্ধে এবং দ্রুতই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলো তালেবান। কিন্তু তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। বরং তারা ফিরে এসেছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগান সরকারের পতন ঠেকাতে এবং তালেবানদের রক্তক্ষয়ী হামলায় ঠেকাতে লড়াই করছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? আমেরিকাকে সতর্ক করে দিলো তালেবান আফগান মুজাহিদিনদের সাথে কাটানো ছুটি ওসামা বিন লাদেন ওসামা বিন লাদেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বিমান হামলার ঘোষণা দেন ২০০১ সালের ৭ই অক্টোবর। তিনি বলেছিলেন, "এ মিশন হলো আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা এবং তালেবানদের সামরিক সক্ষমতায় আঘাত করা"। শুরুতেই তালেবানদের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিলো। এছাড়া আল কায়েদার প্রশিক্ষণ শিবিরেও আঘাত হানা হয়। এরপর ১৮ বছর চলে গেলো। যুক্তরাষ্ট্রের মিশন সফল হয়েছে কি-না তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বরং তালেবান আবারো আফগান সরকারের অংশ হতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের আলোচনা সফল হয়। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ প্রথমে নিয়েছিলো ১৯৯৬ সালে এবং পরে দু বছরের মধ্যে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা উগ্র ইসলামি পন্থা অনুসরণ করে এবং প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকরের পদ্ধতি চালু করে। যুক্তরাষ্ট্র হামলা শুরুর দু মাসের মধ্যে তাদের পতন হয় ও তাদের যোদ্ধারা অনেকেই পাকিস্তানে চলে যান। ২০০৪ সালে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার ক্ষমতা নেয়। যদিও পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় তালেবানদের ব্যাপক সমর্থন ছিলো। তারা মাদক পাচার, খনি নিয়ন্ত্রণ ও কর আদায় করে শত মিলিয়ন ডলার আয় করে। যেহেতু তালেবান একের পর এক আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছিলো তাই আন্তর্জাতিক বাহিনী আফগান বাহিনীর সাথে তালেবানের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে থাকে। ২০১৪ সালে ন্যাটোর আন্তর্জাতিক বাহিনী তাদের মিশন সমাপ্ত করে তালেবানদের সাথে লড়াইয়ে দায়িত্ব আফগান বাহিনীকে দেয়। কিন্তু সেটিই তালেবানকে সুযোগ করে দেয় এবং তারা বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে এবং সরকারি বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা করতে থাকে। গত বছর আফগানিস্তানের ৭০ ভাগ এলাকায় তালেবান সক্রিয় বলে জানতে পারে বিবিসি। আরো পড়তে পারেন: আমেরিকাকে সতর্ক করে দিলো তালেবান আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? কান্দাহারে মার্কিন সৈন্যের অবস্থানের কাছে একটি শিশু তালেবান কোথা থেকে এলো যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের আগে থেকেই প্রায় বিশ বছর যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে আফগানিস্তান। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আর্মি দেশটির কমিউনিস্ট সরকারকে সহায়তার জন্য আগ্রাসন চালায়। '৮৯ সালে সোভিয়েতরা চলে যায় কিন্তু গৃহযুদ্ধ অব্যাহত থাকে। আর এ নৈরাজ্যের মধ্যেই তৈরি হয় তালেবান, পশতু ভাষায় যার অর্থ ছাত্র। তারা প্রথমে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান তৈরি করে এবং ১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান নেয়। গৃহযুদ্ধে অতিষ্ঠ আফগানদের তখন তারা দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা উন্নত করার অঙ্গীকার করেছিলো। প্রধানত সৌদি অর্থায়নে তারা ধর্মীয় স্কুল গুলোতে সরব হয়ে উঠে। চালু করে নিজস্ব শরীয়া আইন। কার্যকর করে শাস্তির নিষ্ঠুর পদ্ধতি। টেলিভিশন, সিনেমা সঙ্গীত নিষিদ্ধ হয়। পুরুষদের দাড়ি রাখা আর নারীদের বুরকা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনা, ২০০৯ সালে যুদ্ধ কেনো দীর্ঘতর হলো? এর কারণ অনেক। তবে আফগান সরকার ও বাহিনীর সীমাবদ্ধতা ও দীর্ঘসময়ের জন্য সৈন্য রাখতে অন্য দেশগুলোর অনিচ্ছার সুযোগে, আবারো শক্তি ফিরে পাওয়ার সুযোগ পায় তালেবান। গত ১৮ বছরে তালেবান ব্যাকফুটেই ছিলো। কিন্তু ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৈন্য সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ও এক লাখ সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে যায়। এটা আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ করে দেয়। যখন আন্তর্জাতিক বাহিনী লড়াই থেকে সরে গেলো আর আফগান বাহিনী দায়িত্ব পেলো, তখন তালেবানের জন্য কাজ আরও সহজ হয়ে গেলো। ৯/১১ র নিহতদের স্মরণ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের দায়ুদ আজামীর মতে যুদ্ধ এখনো চলার কারণ: ১. হামলার রাজনৈতিক অস্পষ্টতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ২. শান্তি আলোচনা চলার সময়েও তালেবানরা তাদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে ৩. ইসলামি জঙ্গিদের সহিংসতা বেড়ে যাওয়া ৪. পাকিস্তানের ভূমিকা কিভাবে তালেবান এখনো শক্তিশালী থাকতে পারলো? তারা বছরে দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ আয় করেছে। এর বড় অংশই মাদক থেকে। আফগানিস্তান বিশ্বের বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ। যার বেশির ভাগই ব্যবহৃত হয় হেরোইন তৈরিতে। নিজের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কর আদায়ের মাধ্যমেও বিপুল অর্থ আয় করেছে তারা। আর খনি, টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যবসা তো রয়েছেই। পাকিস্তান ও ইরান তাদের অর্থায়নের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্তু ওই অঞ্চলের কিছু ব্যক্তি তালেবানকে সহায়তা করেছে বলেই মনে করা হয়। কাবুলে একটি বিস্ফোরণের পর কতটা মূল্য নিয়েছে এ যুদ্ধ? এর উত্তর - সর্বোচ্চ। কত আফগান সৈন্য মারা গেছে তার হিসেব নেই। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বলেছেন ২০১৪ সাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাহিনীর সাড়ে তিন হাজার সেনা মারা গেছে যার মধ্যে আমেরিকান ২ হাজার ৩০০। আফগান বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি আরও ব্যাপক। চলতি বছরের এক রিপোর্টে জাতিসংঘ বলছে, ৩২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইন্সটিটিউট বলছে ৪২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাদের হিসেবে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব ২০০১ সাল থেকে প্রায় ৫ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি এখন বিষয়টি দেখছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনিও এখন সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাইছেন।
আফগানিস্তানে কেনো এতো দীর্ঘ যুদ্ধ হচ্ছে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাজারে ডিমের সরবরাহ কম বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে ডিমের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ডিম খেয়ে কতটা সুস্থ সবল থাকা যাবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন ব্যাংক কর্মকর্তা মুরাদ সালাউদ্দিন। ঢাকার শাহজাদপুর এলাকার এই বাসিন্দা বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার বাসার কাছের দোকান থেকে এক সপ্তাহ আগেও তিনি একশ টাকা ডজনে ডিম কিনেছেন। "আজ রোববার একই দোকানি ডিমের দাম চেয়েছে ১২৫ টাকা, প্রতি ডজনের জন্য।" অথচ গত বছর বিশ্ব ডিম দিবসে মানুষকে ডিম খেতে উদ্বুদ্ধ করতে ঢাকার খামারবাড়িতে তিন টাকা পিস ধরে ডিম বিক্রির আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ও সরকারের মৎস ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দিনে দুই কোটির বেশি ডিম উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশে ১ হাজার ৫৫০ কোটি পিস ডিম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৫৫১ কোটি ৬৬ লাখ পিস। বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি খামারগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি ডিম উৎপাদন হয়। অথচ সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ডিমের দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি পিস ৮-১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার নিকেতন এলাকায় বাস করেন দিলশাদ হোসেন, যার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অপরিহার্য। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছেন যে, শনিবার এক ডজন ডিম কিনেছেন দোকান থেকে ১২০ টাকা দিয়ে, অথচ তার পাঁচ দিন আগেই একই দোকানে এক ডজন ডিমের দাম নিয়েছিলো ১০৫ টাকা। "আসলে ডিমের দাম মনিটরিংয়ের কোন সিস্টেম আছে বলে মনে হয় না। যে যার মতো করে দাম রাখে। আমাদেরও তেমন কোন উপায় থাকে না।" তিনি বলেন, "অথচ পুষ্টির বিবেচনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ডজনে ১৫ টাকা এক সপ্তাহে বাড়লে এটা সত্যিই সমস্যা।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: '৬ মাসে প্রায় ৪০০ শিশু ধর্ষণের শিকার' মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যাবে ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম খেলেই হৃদরোগের ঝুঁকি? কেন বাড়ছে ডিমের দাম গাজীপুরের খামার মালিক ও পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দুটি কারণে এবার ডিম উৎপাদন ৪০ ভাগ কমেছে। "বেশ কিছু জেলায় এবার অস্বাভাবিক গরমের কারণে অনেক লেয়ার মুরগি মারা গেছে। এছাড়া এভিয়েন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে অনেক খামারের মুরগি।" এর বাইরে মুরগির খাবারের কিছু উপকরণ আমদানিতে কিছু পরিবর্তন আসার কারণেও খামারগুলোকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি। মিস্টার মহসিন অবশ্য বলছেন, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে ডিমের দাম কমবে বলে আশা করছেন তারা। কুষ্টিয়ার একটি খামার খামার পর্যায়ে দাম কেমন? পুরনো রমনা থানার কাছে ছোটো দোকানী লিটন। তিনি জানান, তিনি এখন ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা নিচ্ছে প্রতি ডজনের বিপরীতে। "পাইকারদের কাছ থেকেই বেশি দাম দিয়ে নিতে হয়। বাজারে নাকি সাপ্লাই কম, এজন্য বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলেই দাম বেড়ে গেছে।" কিন্তু খামারিরা কত দরে বিক্রি করছেন ডিম? - জবাবে খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বলছেন, রোববার নাগাদ খামার পর্যায়ে লাল ডিম আট টাকা ত্রিশ পয়সা আর সাদা ডিম আট টাকা পাঁচ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অঞ্চলভেদে ডিমের দামের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্যের তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বিপিকেআরজেপি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল'স বাংলাদেশ (পিপিবি। তাদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ঢাকায় সাদা ডিম শনিবারে পাইকারি বাজারে আট টাকা ষাট পয়সা আর চট্টগ্রামে পাওয়া গেছে এর চেয়ে দশ পয়সা কম দামে। আবারো যশোরে ছিলো আট টাকা আশি পয়সা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মুরগি নেই, তাই কেএফসির শত শত দোকান বন্ধ 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি তিন হাজার মুরগীর আক্রমণে মারা গেল শিয়াল
দেশব্যাপী বাড়ছে ডিমের দাম, কমবে কবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাংলাদেশের সাড়ে তিনশ বিদ্যালয়ে গত ৫ বছর ধরে পড়ানো হচ্ছে একটি কোর্স, যেটি অনেকটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্যালয়ের সেক্স এডুকেশন বা যৌন শিক্ষা কোর্সের আদলে সাজানো। তারা বয়ঃসন্ধিকালীন এসব অবশ্যম্ভাবী ইস্যুগুলো সম্পর্কে জানছে। তারা শিখছে প্রজননস্বাস্থ্যের নানা দিক। যৌনবাহিত এবং যৌনাঙ্গবাহিত রোগ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছে। শিখছে এসব রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়। এই প্রশিক্ষণের জন্য তারা সাহায্য নিচ্ছে নানা রকম কম্পিউটার গেম এবং লুডো ও মনোপলির মতো দুটি বোর্ড গেমের। সেই সঙ্গে ক্লাস লেকচার তো রয়েছেই। আশকোনার এই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিশোর কিশোরী কর্নারে আমি যেদিন যাই, সেদিন তাদের পড়ানো হচ্ছিল বাল্যবিবাহ নিয়ে। বাল্যবিবাহ নিরোধ নিয়ে শিশুরা একটি নাটিকার মহড়া করছে শিক্ষার্থীরা, আমাকে সেটিও তারা দেখালো। এই বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ শ্রেণীকক্ষে গত ৫ বছর ধরে এসব শিখছে বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ সরকারের 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণীকক্ষটি তৈরি হয়েছে। কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে 'কিশোর কিশোরী কর্নার'। আর এখানে তারা পড়ছে 'জেমস' নামে একটি কোর্স যেটির পূর্ণরূপ দাঁড়ায় 'জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস'। কোর্সটি অনেকটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্যালয়ে পড়ানো সেক্স এডুকেশন বা যৌন শিক্ষার আদলে সাজানো। যদিও সংশ্লিষ্টরা এই কোর্সকে যৌন শিক্ষা বলতে নারাজ। নির্ভয়া ধর্ষণ: আলোচনার বাইরেই রয়ে গেলেন যে নারী গোলান মালভূমি ইসরায়েলের: স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের ইতিহাসের সাক্ষী: খোমেনির লাশ নিয়ে মাতম আমার জেমস ডায়েরি-ই হচ্ছে এই কোর্সের একমাত্র পাঠ্যপুস্তক। এই কোর্সটি সাজানো হয়েছে 'আমার জেমস ডায়েরি' নামের একটি বই, সাতটি কম্পিউটার গেমস, দুটি বোর্ড গেম, একটি এনিমেশন ভিডিও আর একশোটি পর্বের রেডিও ধারাবাহিক দিয়ে। ক্লাসে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। দুই বছরের এই কোর্সে যোগ দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী যেসব বিষয় সম্পর্কে জানছে: কোর্সটিকে শিশুদের জন্য সহজবোধ্য করবার জন্য তৈরি করা হয়েছে সাতটি কম্পিউটার গেমস। জেনারেশন ব্রেকথ্রু: কী আসলে? কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যালয়গুলোতে যৌনশিক্ষা দেবার চেষ্টা বহু বছর থেকেই করা হচ্ছে, কিন্তু যৌন বিষয় নিয়ে সামাজিক ট্যাবুর কারণে এটা সফল করা যায়নি কখনো। এমনকি পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষা বিষয়ক অধ্যায় জুড়ে দেবার পরও দেখা গেছে শ্রেণীকক্ষে সেসব অধ্যায় শিক্ষকেরা পড়াচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদেরকে বাড়িতে গিয়ে এসব অধ্যায় পড়বার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। আর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অভিভাবকেরা বইয়ের সেসব অধ্যায় স্টাপলিং করে আটকে দিচ্ছে, যাতে অধ্যায়গুলো শিক্ষার্থীদের নজরে না পড়ে। ফলে বিদেশী দাতাদের অর্থায়নে ২০১৪ সালে যখন ৫ বছর মেয়াদী জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি শুরু হয় বাংলাদেশের চারটি জেলার তিনশো ৫০টি বিদ্যালয়ে, তখন তারা এই ট্যাবুর বিষয়টি মাথায় রেখেছিলেন। এই প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলছেন, প্রকল্পটি শুরু করতে গিয়ে স্কুলগুলো থেকে বাধা আসবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন তারা। কিন্তু বাধা যতটুকু এসেছে তা ঢাকার বিদ্যালয়গুলো থেকে। মফস্বলের বিদ্যালয়গুলো থেকে কোন বাধা আসেনি। চার জেলার সাড়ে তিনশ স্কুলে পাইলট আকারে চালানো হয় ৫ বছরের 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' প্রকল্প। এসব স্কুলের মধ্যে ছিল ৫০টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কোর্সটিকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছে। এমনকি প্রকল্পে যে ৫০টি মাদ্রাসাকে যুক্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকে এসেছিল অভূতপূর্ব ইতিবাচক সাড়া। ড. হোসেন বলছেন, 'বাস্তবে দেখা গেল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা এ বিষয়ে অনেক অগ্রসর'। সাফল্য এলো কি? প্রকল্পের মেয়াদের পাঁচ বছর শেষে এসে দেখা যে বিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুস্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে যেসব বিদ্যালয়ে এই বিষয়টি পড়ানো হয়না, সেখানকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র আমাকে বলছিল, "আমার অন্যান্য স্কুলের যেসব বন্ধু আছে তারা এইসব শব্দ শুনলে অনেক লজ্জা পায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আর এসব হয় না।" অষ্টম শ্রেণীর একজন ছাত্রী বলছিল, "প্রথম প্রথম আমি নিজেও এইসব ব্যাপারে অনেক সংকীর্ণ ছিলাম। যেসব বিষয় আমি আমার মা কিংবা বন্ধুদেরকে বলতে পারতাম না, পরামর্শ চাইতে পারতাম না, এখন অবলীলায় তা পারি।" প্রকল্পে যে ৫০টি মাদ্রাসাকে যুক্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকে এসেছিল অভূতপূর্ব ইতিবাচক সাড়া। 'জেমস ক্লাস করবার পর আমরা অনেক বেশী ফ্রি হয়ে গেছি', বলছিল সপ্তম শ্রেণীর আরেক ছাত্রী। যেসব শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই জেনারেশন ব্রেকথ্রুর ক্লাসরুমে পাঠানো হয়েছিল, তারাও শুরুর দিকে জড়সড় হয়ে থাকতেন। "আমাদের নিজেদের ভেতরেই একটা জড়তা ছিল। সেই জড়তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের কিন্তু সময় লেগেছে। সেক্স বিষয়ক কোন শব্দ আলোচনায় এলে বাচ্চার লজ্জা পেত," বলছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা খাতুন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরো উলটে গেছে, অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমাকে বললেন তিনি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন ছাত্রী বলছিল, 'প্রথম প্রথম আমি নিজেও এইসব ব্যাপারে অনেক সংকীর্ণ ছিলাম। যেসব বিষয় আমি আমার মা কিংবা বন্ধুদেরকে বলতে পারতাম না, পরামর্শ চাইতে পারতাম না, এখন অবলীলায় তা পারি।' কোর্সটি পড়ানো কি বন্ধ হয়ে যাবে? জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০১৮ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই। যদিও অনেক বিদ্যালয়ে কোর্সটি পড়ানো অব্যাহত আছে, বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের যোগাযোগও বন্ধ হয়নি, কিন্তু কাগজে কলমে প্রকল্পটি শেষ। তাহলে কি বিদ্যালয়গুলোতে যৌন শিক্ষা প্রদানের নতুন এই পদ্ধতিটি বন্ধ হয়ে যাবে? ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলছেন, তারা অচিরেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। সেখানে বিদ্যমান সাড়ে তিনশো বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে আরো দুশোটি বিদ্যালয়। আর পর্যায়ক্রমে এই কোর্সটিকে অবশ্যপাঠ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের সব বিদ্যালয়ে, অবশ্য এখন পর্যন্ত এর সবই রয়েছে আলোচনা পর্যায়ে। ক্লাসরুমে মনোপলির আদলে একটি বোর্ডগেমের মাধ্যমে বয়ঃসন্ধিকালীন নানা শারিরীক পরিবর্তন সম্পর্কে জানছে শিক্ষার্থীরা।
স্কুলে যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্পের ক্লাসরুমে যা পড়ানো হচ্ছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বিবিসি বাংলা আয়োজিত "বাংলাদেশের নির্বাচনে ভুয়া খবর প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক সেমিনার। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যম-গুলোয় এই ভুয়া খবর ঠেকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ সকালে ঢাকার হোটেল আমারিতে "বাংলাদেশের নির্বাচনে ভুয়া খবর প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে বিবিসি বাংলা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে সরকার এরইমধ্যে 'গুজব শনাক্তকরণ সেল' গঠন করলেও ভুয়া খবর ঠেকাতে শুধু আইনের কড়াকড়ি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তারা সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণের ওপর জোর দেন। নির্বাচনে ভুয়া সংবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে ওই সেমিনারে গণমাধ্যম-কর্মীদের পাশাপাশি এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও। আরও পড়তে পারেন: বিবিসি জরিপ: কেন মানুষ ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভুয়া খবর ঘিরে বাংলাদেশে পাঁচটি বড় ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলছে ফেক নিউজ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী জয়া মৈত্র বলেন, "স্টুডেন্টদের মধ্যে ফেসবুক থেকে নিউজ কালেক্ট করার প্রবণতা বেশি। আর সেখানেই ফেক নিউজ বেশি হয়ে থাকে। আজকে জানতে পারলাম যে কিভাবে ফেক নিউজ আইডেন্টিফাই করবো। এগুলো কারা ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে সেগুলো বুঝতে পারলাম।" ভুয়া খবর সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে ফ্যাক্ট চেক বা খবরের সত্যতা যাচাইয়ের গুরুত্ব উপলব্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা ট্রিবিউনের সাংবাদিক নওয়াজ ফারিন অন্তরা। তিনি বলেন, "আমরা প্রায়ই খবরের বিভিন্ন তথ্য ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে নেই, অন্য সাংবাদিকদের থেকে নেই। সেটা কতোটা রিলায়বল সেটা ভেবে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে ফ্যাক্ট চেক করাটাকে আরও গুরুত্ব দেব।" সেমিনারে অংশ নেন গণমাধ্যম-কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞদের মতামত: বিবিসির এশিয়া অঞ্চলের প্রধান জুলিয়ানা ইউত্তি এবং বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তফার সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, নাগরিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, এনটিভি অনলাইনের প্রধান ফখরুদ্দিন জুয়েল এবং মানবাধিকারকর্মী তাহমিনা রহমান। কিভাবে ভুয়া খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এক্ষেত্রে সচেতনতার জায়গাগুলো কোথায় এ ব্যাপারে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেদের মতামত দেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, সাংবাদিকদের সচেতন ভূমিকার ওপর জোর দেন। "ভুয়া খবর ছড়ানোর প্রবণতা এখন এতোটাই বেড়ে গেছে যে আমরা আমাদের বিশ্বাসের জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা এখন সত্য বা বস্তুনিষ্ঠটার চাইতে গুজব বা আবেগ-তাড়িত খবরগুলোর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছি।" "এখন মানুষের চেহারা কণ্ঠ সবই বদলে দেয়ার মতো প্রযুক্তি এসেছে। এতে মিথ্যা থেকে সত্যটা আলাদা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক বলিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। " "বাংলাদেশের নির্বাচনে ভুয়া খবর প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক সেমিনারের প্যানেল সদস্যরা। গীতি আরা নাসরিনের সঙ্গে একমত পোষণ করে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রত্যেককে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় রাখার তাগিদ দিয়েছেন। এ অবস্থায় খবরের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমের পরিবর্তে মূলধারার বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যমের প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। মাহফুজ আনাম বলেন, "আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটা বিরাট উপায় হয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম। তাই এটার ভাল দিকটাকে ধরে রাখতে হবে। আবার এটাও সত্যি যে কেউ যখন স্বাধীনতা পায়, কখন সেই স্বাধীনতা অপব্যবহারের একটা প্রবণতা তৈরি হয়।" দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, "কোন খবর পাওয়ার পর সেটার নীচে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।" ভুয়া সংবাদ ছড়ানো ঠেকাতে যে আইন রয়েছে, সেটা নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটা দেখাও জরুরি বলে মনে করেন মাহফুজ আনাম। এসব ক্ষেত্রে কোন সংবাদ আর কোনটা মতামত সেই পার্থক্য করাটা জরুরি বলে মত দেন নাগরিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যেখানে সত্যকে ঝাপসা করে দেয়া হয়। কিন্তু সত্য সত্যই। এটার কোন কম বা বেশি হতে পারেনা। মিথ্যা যতো দ্রুতই ছড়াক না কেন। সত্যই পারে সেই ঢল ঠেকাতে।" "তাছাড়া আমাদের মগজও দুষিত হয়ে গেছে। আমরা সেটাই দেখি, সেটাই পড়ি যেটা আমরা দেখতে চাই, পড়তে চাই, শুনতে চাই। তাই আমি কি পড়বো, কাদের বন্ধু বানাবো, কাদের কথা বিশ্বাস করবো সেটার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াটা সবচেয়ে জরুরি।" "বাংলাদেশের নির্বাচনে ভুয়া খবর প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক সেমিনারের প্যানেল সদস্যরা। এদিকে ভুয়া খবর ছড়ানোর বিরূপ প্রভাবের কথা তুলে ধরেন এনটিভি অনলাইনের প্রধান ফখরুদ্দিন জুয়েল। তিনি বলেন, "ফেক নিউজের কারণে কেউ রাজনৈতিকভাবে, কেউ সামাজিকভাবে আবার কেউ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আগে ফেক নিউজ ছড়ানোটা অনেক জটিল ও ব্যয়বহুল ছিল এখন ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এটা কোন ব্যাপারই না। অনেকে এসব নিউজ ভাইরাল করে আয়ও করছে। তাই সচেতনতাটাই সবচেয়ে জরুরি।" ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে গণমাধ্যম বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী তাহমিনা রহমান "গণমাধ্যম যদি কোন খবর প্রকাশ বা প্রচারের আগে তাদের তথ্যগুলো বার বার যাচাই করে। বস্তুনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে আপোষহীন থাকে তাহলে ফেক নিউজ বাজারে টিকবে না। কারণ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের কাছেই ফেক নিউজের পরাজয় হয়। " সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফেক নিউজ নিয়ে প্রেজেন্টেশন ভুয়া খবর কি এবং কিভাবে ছড়ায়? এছাড়া সেমিনারের শুরুতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবর এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা এবং কিভাবে এ ধরণের খবর সনাক্ত করা যায় বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন সময়ের বেশ কয়েকটি ভাইরাল খবরের ওপর আলোকপাত করা হয়। যার অনেক তথ্যই অতিরঞ্জিত হয়ে ভাইরাল হয়েছিল। এরমধ্যে রয়েছে, রামুর বৌদ্ধ মঠে ভাঙচুর, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের সংখ্যা, নাসির নগরের হিন্দু মন্দিরে হামলা এবং সবশেষ ঝিগাতলায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলো। মূলত চারটি উপায়ে এই ভুয়া খবরগুলো ছড়িয়ে থাকে। ১. ফেসবুক ২. ইউটিউব ৩. ভুয়া ওয়েবসাইট ৪. গণমাধ্যম। আর এসব মাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরগুলো ইউজারদের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের কারণে ভাইরাল হয়ে যায়। আবার অনেক গণমাধ্যম এসব সামাজিক মাধ্যমের তথ্য যাচাই বাছাই না করেই খবর প্রকাশ করে। সেমিনারে অংশ নেয়া কয়েকজন। ভুয়া খবর ছড়ানোর কারণ: ভুয়া খবর ছড়ি পড়ার পেছনে তিনটি কারণকে তুলে ধরা হয়। ১. বিরোধী রাজনৈতিক দলকে কোণঠাসা করা। ২. ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া। ৩. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল। ভুয়া খবর সনাক্তের উপায়: পাঁচটি উপায়ে সনাক্ত করা সম্ভব ভুয়া খবর। ১. কমন-সেন্স ব্যবহার করুন। ২. খবরের কন্টেন্ট বা তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলে, প্রতিটি যাচাই করুন। ৩. অনলাইনে সার্চ দিয়ে যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। ৪. খবরের তথ্যসূত্র বা ছবি/ভিডিওর উৎস বের করুন। ৫. খবরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।
বিবিসি বাংলার সেমিনার: কীভাবে চেনা যাবে 'ফেক-নিউজ', ঠেকানোর উপায় কী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
টেলিভিশন শো দেখে নিনজাদের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আইমি হাগা আইমি হাগা নামের ওই শিক্ষার্থী রচনা লিখতে নিনজাদের পদ্ধতি "আবুরিদাশি" অনুসরণ করেন। আর এর জন্য কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে সয়াবিন পানিতে ভিজিয়ে এবং পিষে ওই কালি তৈরি করেন তিনি। তার শিক্ষক যখন ওই কাগজটি বাড়িতে গিয়ে গ্যাসের স্টোভে গরম করেন, তখন কাগজে লেখা ভেসে ওঠে। "আমি যখন ছোট ছিলাম তখন একটি বই পড়ে এটা শিখি আমি," মিস হাগা বিবিসিকে বলেন। "আমি শুধু চাইছিলাম যে অন্য কেউ যাতে একই ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ না করে।" ছোট বেলায় অ্যানিমেটেড টিভি শো দেখে মধ্যযুগীয় জাপানের নিনজা- গুপ্তচর এবং গুপ্তঘাতক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন মিস হাগা। জাপানের মাই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী নিনজা ইতিহাস বিষয় নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন, এবং তাকে ইগারিউ নিনজা জাদুঘর পরিদর্শন বিষয়ে একটি রচনা লিখতে বলা হয়। আরো পড়ুন: নতুন করে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান বুয়েটে নির্যাতনের সংস্কৃতি: প্রশাসনের ব্যর্থতা কতটা? অন্ধ নারীরাই শনাক্ত করছেন স্তন ক্যান্সার "অধ্যাপক যখন ক্লাসে বললেন যে, সৃষ্টিশীলতার জন্য সর্বোচ্চ নম্বর দেবেন তিনি, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি আমার রচনা অন্যদের থেকে আলাদা করে তৈরি করবো।" "আমি কিছুক্ষণ চিন্তা করলাম, তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে আবুরিদাশি অনুসরণ করবো।" মিস হাগা, যার বয়স ১৯ বছর, সারা রাত ধরে সয়াবিন পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। তারপর সেগুলো পিষে নিয়ে একটি কাপড়ে ছেকে নেন। এরপর এর সাথে পানি মেশান-সঠিক ঘনত্ব পেতে তার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। আর এর পর ভাল একটি ব্রাশ দিয়ে "ওয়াশি"(জাপানের এক ধরণের পাতলা কাগজ)-তে রচনা লেখেন তিনি। শব্দগুলো শুকিয়ে গেলে, সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু, তার শিক্ষক যাতে একে খালি কাগজ মনে করে ফেলে না দেন সেজন্য এক কোণায় স্বাভাবিক কালিতে একটি ছোট নোট লেখেন তিনি। যেখানে লেখা ছিল "কাগজটি গরম করুন।" নিনজা কী? •এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিনজুৎসু- যুদ্ধের এক ধরণের স্বতন্ত্র কৌশল ব্যবহার করেন- তিনিই নিনজা •জাপানের সামন্তবাদী যুগের নিনজা ঐতিহ্য শত শত বছরের পুরনো •গুপ্তচরবৃত্তি এবং কৌশলের দিক থেকে নিনজারা বেশ দক্ষ •এন্টার দ্য নিনজা'র মতো মার্কিন সিনেমার মাধ্যমে নিনজারা জনপ্রিয়তা লাভ করে, কিন্তু হলিউডের চিত্রায়িত এ ধরণের নিনজার ধারণা বিভ্রান্তিকর হতে পারে •উৎস: ইগারিউ এর নিনজা জাদুঘর আইমি হাগার জমা দেয়া রচনাটির গরম করার আগে ও পরের অংশ অধ্যাপক ইউজি ইয়ামাদা বিবিসিকে বলেন, তিনি রচনাটি দেখার পর "বিস্মিত" হন। "আমি এ ধরণের প্রতিবেদন কোড ব্যবহার করে লিখতে দেখেছি, কিন্তু আবুরিদাশি ব্যবহার করে রচিত কোন প্রতিবেদন এর আগে দেখিনি," তিনি বলেন। "সত্যি বলতে গেলে, আমার সন্দেহ ছিল যে শব্দ গুলো পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে কিনা। কিন্তু যখন আমি আসলেই কাগজটি বাড়িতে এনে গ্যাসের স্টোভে গরম করলাম, শব্দ গুলো খুব পরিষ্কারভাবেই ফুটে উঠলো এবং আমি ভাবলাম "বেশ ভাল!" "আমি প্রতিবেদনটিতে সর্বোচ্চ নম্বর দিতে দ্বিধা করিনি- যদিও আমি এটি সম্পূর্ণ পড়ি নি। কারণ আমি ভাবলাম, কিছু অংশ গরম না করেই রেখে দেয়া উচিত, যাতে গণমাধ্যম এটি পেলে তার একটি ছবি নিতে পারে।" রচনার বিষয়ে মিস হাগা বলেন যে, এর আধেয়র তুলনায় এর স্টাইলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। "আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, অধ্যাপক কমপক্ষে সৃষ্টিশীল রচনা তৈরিতে আমার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেবেন," তিনি বলেন। "আর তাই আমার রচনার জন্য খারাপ নম্বর পাওয়ার শঙ্কায় আমি শঙ্কিত ছিলাম না- যদিও এর আধেয় আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না।"
অদৃশ্য কালিতে রচনা লিখে সর্বোচ্চ নম্বর পেল জাপানের এক নিনজা শিক্ষার্থী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান যে সকলের জন্য একই হাসপাতাল এবং একই চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ একথা জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন খবরের কাগজে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার এরকম কোন ধরণের ব্যবস্থা করে নাই। তিনি বলেন, "সকলের জন্য একই হাসপাতাল এবং একই চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।" এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন বিবৃতি না দিতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেউ যাতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরণের বিবৃতি না দেয়। মি. মালেক বলেন, এসব কারণে "ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, যা সরকারি নীতির বহির্ভূত"। এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে ভিআইপি, বিত্তশালী এবং বিদেশি নাগরিকদের সম্ভাব্য করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিদেশীদের জন্য ঢাকার একটি হাসপাতাল (শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং "বিত্তশালীদের" জন্য বেসরকারি কয়েকটি বড় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবিসিকে পাঠানো এক চিঠিতে এই ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেন। আর আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভিআইপিদের করোনাভাইরাস জনিত চিকিৎসার জন্য কোন হাসপাতালে আলাদা কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ওই প্রতিবেদনটি "অসত্য এবং তথ্য নির্ভর নয়" এই দাবি করে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা শহরে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য অনেকগুলি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অন্যতম। "ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করার জন্য তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই ইনস্টিটিউটকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।" বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক রাষ্ট্রের সাথে বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্কের মান অক্ষুণ্ণ রাখতে ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে তাদের জন্য এ হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?
করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে ভিআইপিদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা হয়নি, বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
একটি রোহিঙ্গা গ্রামে ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলছে যদি আপনি রাস্তার লোকজনের সাথে রাখাইন রাজ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আপনি 'রোহিঙ্গা' শব্দটিই শুনতে পাবেন না। বিবিসির বার্মিজ সাভিসের স ইয়াং নাইং লিখছেন, সংখ্যালঘুদের মিয়ানমারে বর্ণনা করা হয় 'বাঙালি' বলে। এ দেশে মূলধারায় রোহিঙ্গাদের কি ভাবে দেখা হয় - এতেই তার একটা আভাস পাওয়া যায়। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা হচ্ছে 'বিদেশি' - বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী - যাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাখাইন প্রদেশের সহিংসতাকে দেখা হচ্ছে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা হিসেবে, কিন্তু মিয়ানমারে এটি দেখা হয় জাতীয় সার্বভৌমত্ব-সংক্রান্ত বিষয় হিসেবে। উত্তর রাখাইনে যে সেনা অভিযান চলছে তার প্রতি সমর্থনও এখানে ব্যাপক। এখানে বরং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরকেই দেখা হচ্ছে 'একপেশে' হিসেবে। যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের দুর্দশার খবর এখানে সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার পায় না। রাখাইন এলাকায় দেশী বা বিদেশি সাংবাদিকের প্রবেশের ব্যাপারেও কঠোর কড়াকড়ি আছে। তিন লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে যাবার খবর মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমে নেই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে 'সন্ত্রাসী আক্রমণ' এবং সহিংসতার কারণে যে 'অ-রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী' বাড়িঘর হারিয়েছে - তার ওপর জোর দেয়া হয়। বিভিন্ন শহরে 'আরসা চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসীদের' আক্রমণ বা 'বড় আক্রমণের পরিকল্পনা' করছে - এমন খবরও এখানকার পত্রিকায় এসেছে। এসব খবরে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী নয় বরং 'জঙ্গী গ্রুপগুলোই গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে', এবং রোহিঙ্গারা যে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে এ কথার কোন উল্লেখ এসব রিপোর্টে থাকে না। মিয়ানমারের সরকারি ইনফরমেশন কমিটি 'সন্ত্রাসী' শব্দটির ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে। এই নির্দেশ যাতে মেনে চলা হয়, এ জন্য কমিটি সংবাদমাধ্যমের প্রতি হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম ভুয়া খবর ও ছবি সমাজে বৈরিতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারের জাতীয়তাবাদী গ্রুপগুলো এমন ধারণা প্রচার করছে যে 'রোহিঙ্গা মুসলিমরা একটি হুমকি, কারণ তারা চার স্ত্রী এবং বহু সন্তান নিতে পারে।' রাখাইনে অনেকে মনে করে, জনসংখ্যা বাড়লে তারা একদিন তাদের সব জমি নিয়ে নেবে। সাধারণ লোকের সাথে কথা বললেও এই শত্রুতার অনুভুতি খুব স্পষ্ট বোঝা যায়। একজন মহিলা - যার বয়স তিরিশের কোঠায় - বললেন, "তারা লেখাপড়া শেখে না, তাদের কোন চাকরিও নেই। তাদের প্রচুর বাচ্চাকাচ্চা। আপনার প্রতিবেশীর যদি অনেক বাচ্চা থাকে এবং সব সময় চেঁচামেচি করতে থাকে - আপনি কি তা পছন্দ করবেন?" রোহিঙ্গাদের গ্রামে পুড়িয়ে দেয়া একটি বাড়ি আরেক মহিলা, তিনি লোকের বাড়িতে কাজ করেন গৃহপরিচারিকা হিসেবে। তিনি বলছেন, "ওরা লোক ভালো নয়। আমি ওদের পছন্দ করি না। তবে হ্যাঁ, এক হাতে তালি বাজে না।" বোঝা গেল, মহিলাটি জানেন যে এ সংঘাতের দুটি পক্ষ আছে। অবশ্য এমনও অনেকে আছেন, যারা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি সহানুভুতিশীল, যদিও তারা বেশি কথা বলতে চান না। একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলছিলেন," আমার মনে হয় অনেক বাঙালি মুসলিম মারা গেছে। আমার ধারণা সরকারি বাহিনী তাদের অনেককে হত্যা করেছে, কারণ কিছু এলাকা আছে যেগুলো দুর্গম বা বিচ্ছিন্ন।" "এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কিছু করা উচিত" - বললেন তিনি। বিবিসি বাংলার আরো খবর:
রোহিঙ্গা সমস্যাকে কিভাবে দেখছে ইয়াঙ্গনের লোকেরা?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর বিশ্বের বাংলাদেশে মুসলিমদের বিক্ষোভ ফরাসী প্রেসিডেন্ট বুধবার ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সংগঠন ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথকে (সিএফসিএম) ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন এই সনদ মেনে নেয়ার জন্য। সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে। এটি ইমামদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার এবং তাদের অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবে। এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীরা তিনটি হামলা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো ফ্রান্স। বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ওই সনদটিতে এমন কথা থাকছে যে ইসলাম একটি ধর্ম এবং কোনও রাজনৈতিক ধারা নয়। মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ'ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সনদে। হামলাগুলোর মুখে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ফরাসী ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন। এসব হামলার মধ্যে ছিল একজন শিক্ষকের শিরশ্ছেদের ঘটনা, যিনি তার ক্লাসে আলোচনার সময় ইসলামের নবীর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। বুধবার এলিসি প্যালেসে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্দ দারমানিন আটজন সিএফসিএম নেতার সাথে বৈঠক করেন। আরো পড়তে পারেন: 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে ফ্রান্সের কাছে বাংলাদেশের চিঠি: কী বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ নবীর কার্টুন দেখানো শিক্ষকের শিরশ্ছেদ নিয়ে উত্তাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ‘ ফ্রান্স 'আমি কেন আর ফরাসি পণ্য ব্যবহার করছি না' ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লা প্যারিসিয়েঁ পত্রিকা একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, "[সনদে] দুইটি মূলনীতি পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা থাকবে: রাজনৈতিক ইসলাম প্রত্যাখ্যান এবং যে কোনো ধরণের বিদেশি হস্তক্ষেপ।" ওই বৈঠকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমামস প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যাকে 'ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সেই বিষয়টি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে থাকছে একটি আইন প্রণয়ন, যার লক্ষ্য হবে মৌলবাদকে প্রতিহত করা। বুধবারে প্রকাশ করা এই নতুন কৌশলের মধ্যে রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. দারমানিন লা ফিগারো পত্রিকাকে বুধবার বলেন, "আমাদের শিশুদের ইসলামিস্টদের থাবা থেকে বাঁচাতে হবে।" প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি নিয়ে ৯ই ডিসেম্বর ফরাসী মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। এ বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ইসলামকে 'সঙ্কটাপন্ন' ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন এবং ম্যাগাজিনগুলোর ইসলামের নবীকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ইসলাম ধর্মে নবীকে চিত্রায়ন নিষিদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং অনেক মুসলমানই এটিকে অত্যন্ত অপমানজনক হিসেবে মনে করেন। ওই মন্তব্যগুলো করার পর থেকেই ফরাসী প্রেসিডেন্ট মুসলিম প্রধান অনেক দেশে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন। অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভকারীরা ফরাসী পণ্য বয়কট করার ডাক দেন। ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়ের কেন্দ্রে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। স্কুল-সহ অন্যান্য জনসমাগমস্থলে বাকস্বাধীনতার বিষয়টি এরই একটি অংশ। একে ক্ষুন্ন করে কোনো একটি ধর্মীয় অনুভূতিকে সুরক্ষার চেষ্টা করাকে ফ্রান্সের জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী হিসেবে মনে করা হয়। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মুসলমান বাস করে ফ্রান্সে।
ফ্রান্সের মুসলিমদের 'প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধ' মেনে চলতে আলটিমেটাম দিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ থাকায় আউটসোর্সিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তেমনি নিজের সুবিধা মতো ঘরে বসেও আয় করা যায়। বর্তমানে বিদেশি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা উদাহরণ সৃষ্টি করায় একে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এই খাতে কেউ তার ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে কি কি করতে হবে? ফ্রিল্যান্সার জয়ীতা ব্যানার্জি এ নিয়ে বেশ কয়েকটি টিপস দিয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি কি প্রয়োজন: এই খাতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা এখানে কাজ করার জন্য বড় ধরণের বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। ভাল মানের একটি ল্যাপটপ, প্রয়োজন অনুসারে সফটওয়্যার, নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট থাকলেই চলবে। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে যে বিষয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ে পারদর্শীতা, ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও লেখার দক্ষতা এবং কম্পিউটার চালনার জ্ঞান থাকতে হবে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে আউটসোর্সিং: বিকাশে বাধা কোথায়? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মেয়েরা কেন পিছিয়ে? পে-প্যাল, স্ক্রি-প্যাল কি আসছে বাংলাদেশে? নির্বাচনের প্রভাব: ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের যেকোন স্থান থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। কোন্ কোন‌ বিষয়ে দক্ষ হওয়া প্রয়োজন এবং দক্ষ হতে কোথায় যাবেন? আউটসোর্সিং-এর কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন - ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, নেটওয়ার্কিং, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং,ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট, বিজনেস সার্ভিস, ডাটা এন্ট্রি, রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশন, প্রুফ রিডিং ইত্যাদি। এর মধ্যে আপনি পছন্দ করেন এমন একটি বা একাধিক সেক্টর নির্বাচন করতে হবে, যেটা আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেসে উপস্থাপন করার উপযোগী। নিজের পছন্দের বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে অনলাইন বা অফলাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়া, অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করেও এ বিষয়ে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কাজ করলে এবং তাদের কাজের নিয়ম ফলো করলেও দ্রুত উন্নতি করা যায়। দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কাজ করলে দ্রুত উন্নতি করা যায় কোথায় কাজ খুঁজবেন? আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে আছে পছন্দের মার্কেটপ্লেস। বাংলাদেশে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে রয়েছে আপওয়ার্ক, ফাইবার, ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। এরপর সাইটের নিয়মানুযায়ী নিজের বিস্তারিত পরিচয় দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে অবশ্যই আপনার প্রোফাইলটি অনেক সুন্দর করে সাজাতে হবে। আগের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেগুলোকে শক্তিশালী শিরোনাম দিয়ে সংক্ষেপে গুছিয়ে লিখতে হবে। প্রোফাইল যতো আকর্ষনীয় হবে ভাল কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি থাকে। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, সুযোগ সুবিধা ও কাজের ধরণ ভালো করে পড়ে নেয়ার পর বিড করা শুরু করতে হবে। প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে একটু দেরি হওয়াই স্বাভাবিক। তাই ধৈর্য সহকারে বিড করে যেতে হবে। তবে প্রথম কয়েকটি কাজ ভালো হলে গ্রাহকরাই আপনাকে খুঁজে বের করবে। বায়ারের রেটিং উপযুক্ত না হলে, সেইসঙ্গে পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না হলে, ওই কাজে অ্যাপ্লিকেশন করা ঠিক হবে না। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঘণ্টাপ্রতি এবং ফিক্সড প্রাইস - এ দু'ধরণের কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টাপ্রতি কাজে পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা থাকে, কিন্তু সব সাইট ফিক্সড প্রাইসে অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না। সেটা অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে নিয়োগকারীর উপর। তাই শুরুতে ঘণ্টা হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন ফ্রিল্যান্সাররা। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে আউটসোর্সিং খাতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা: ১. কাজের সময় নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকে। কোন প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধাধরা নিয়ম নেই। নিজের সুবিধা মতো যখন ইচ্ছা কাজ করা যায়। ২. এটা ভার্চুয়াল অফিস হওয়ায় কাজের স্থান নিজের মতো বেছে নেয়া। সেটা আপনার বেডরুম থেকে শুরু করে গাড়ির ভেতরে বা লাইব্রেরিতেও হতে পারে। ৩. কাজ শুরু করতে কেবল ভাল মানের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, কিছু সফটওয়্যার, নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। ৪. ব্যবসার ক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যাও অগণিত, কাজের সুযোগ বেশি। তাই থেমে থাকতে হয় না। ৫. কার সঙ্গে কাজ করবেন আর কার সঙ্গে কাজ করবেন না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। ৬. আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতার মূল্য স্থানীয় বাজারের চাইতে কয়েকগুণ বেশি হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা পুরুষদের পাশাপাশি এখন অনেক নারী আগ্রহী হচ্ছেন এই স্বাধীন পেশার প্রতি। যাদের বেশিরভাগ সফলতা অর্জন করেছেন। এ কারণে তথ্য প্রযু্ক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সিংকে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরণের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারীদের সমিতি, বেসিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ. রহমান। তিনি মনে করেন বেশিরভাগ নারীর বাইরে কাজ করার ব্যাপারে পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় তাদের ঘরে বসেই আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক উদাহারণ সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি জানান। মিসেস রহমান বলেন, "বাংলাদেশে এককভাবে আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকেই সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। এটা অনেক বড় কাজের ক্ষেত্র।" "আমাদের ছেলেমেয়েরা ভাল পারফর্মেন্স দেখাতে পারছে বলেই এই মার্কেটে তারা টিঁকে আছে।" বাংলাদেশে পে পাল না থাকায় অর্থ লেনদেনে সমস্যা পোহাতে হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই সম্ভাবনা শুধুমাত্র ঢাকা ও হাতে গোনা কয়েকটি বড় শহর কেন্দ্রিক বলে মনে করেন ফারহানা রহমান। তাঁর মতে, ঢাকার বাইরে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত না হওয়া, বৈদেশিক অর্থ লেনদেনে পেপাল না আসা, সেইসঙ্গে দেশজুড়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। খুব কম সময়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে বেশি আয়ের সুযোগ থাকায় আউটসোর্সিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেকে আন্তজার্তিক বাজার অনুযায়ী দক্ষ করে তোলা এবং সেই দক্ষতাগুলোকে সঠিক স্থানে বিক্রি করা প্রয়োজন বলে জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা।
তথ্যপ্রযুক্তি ফ্রিল্যান্সিং: বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে ঘরে বসেই আয় করতে পারেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্রিটেনের এই ট্যাংকারটিকে আটক করে রেখেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, তাদের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগর থেকে ট্যাংকারটি আটক করেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে ওই ট্যাংকারে করে কিছু আরব দেশে তেল পাচার করা হচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ট্যাংকারটিতে সাত লাখ লিটার জ্বালানী ছিল। তবে ট্যাংকারটি কোন দেশের এবং নাবিকরা কোন দেশের নাগরিক সেসব বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ইরানি বার্তা সংস্থা বলছে, উপসাগরীয় ফারসি দ্বীপের কাছ থেকে ট্যাংকারটি আটক করা হয় বুধবার। তারপর এটিকে বুশেহের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান ও ব্রিটেনের দুটো ট্যাংকার একে অপরের হাতে আটক হওয়ার পর এনিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ১৩ই জুলাই ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ একটি ট্যাংকার আটক করে নিয়ে যায়। অভিযোগ করা হয় যে মাছ ধরার একটি নৌকার সাথে সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ভঙ্গ করার কারণে পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকারটিকে জব্দ করা হয়েছে। সেসময় ব্রিটেনের একটি রণতরীও ছিল ট্যাংকারটির পেছনে। কিন্তু সেটি ইরানি সৈন্যদের হাত থেকে ট্যাংকারটিকে রক্ষা করতে পারেনি। তারও আগে জিব্রাল্টারের কাছে ইরানি একটি ট্যাংকার আটক করে ব্রিটেন। অভিযোগ করা হয় যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে ইরান ওই ট্যাংকারে করে সিরিয়ায় তেল নিয়ে যাচ্ছিল। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ইরানি ট্যাংকারের ভেতরে ব্রিটিশ সৈন্যরা। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করলো ইরান ইরানে অস্থিরতা কি তেলের দাম বাড়াতে পারে? ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? যুক্তরাষ্ট্রও অভিযোগ করেছে যে এর আগে আরো দুটো ট্যাংকারে ইরানি সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন বলছে, গত মে ও জুন মাসে বিস্ফোরক দিয়ে দুটো ট্যাংকারে চালানো হামলায় সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব অভিযোগ তেহরান সবসময়ই অস্বীকার করেছে। একই সাথে ইরান হরমুজ প্রণালীর আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোনও গুলি করে নামিয়েছে। ইরানের সাথে সাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওয়াশিংটন ইরানের তেল খাতের ওপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যেই পাল্টাপাল্টি এসব ট্যাংকার আটকের ঘটনা ঘটে। সবশেষ এই ট্যাংকার আটকের বিষয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ওয়েবসাইট সেপাহ নিউজে বলা হয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের নৌবাহিনীর টহলের সময় পাচারে লিপ্ত ট্যাংকারটিকে আটক করা হয়েছে। বিবিসির আরব বিষয়ক সংবাদদাতা সেবাস্টিয়ান উশার বলছেন, এই ট্যাংকারটি আকারে ছোট হলেও এ‌ ঘটনা যে ওই অঞ্চলের উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেবে সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০জন নিহত যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বন্দুক হামলা, নিহত ৯ ইতিহাসের 'সবচেয়ে উষ্ণতম' মাস দেখলো বিশ্ববাসী
আরো একটি বিদেশি ট্যাংকার ইরানের হাতে আটক
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ খুবই জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিস। ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কনে এবং তার পরিবার মিলে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়েরও করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে বর তাদের কাছে বড় অংকের যৌতুক দাবি করেছিল। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ খুবই জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিস। প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। তবে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে ভারতে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে, কারণ এই অ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবরের কারণে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। শিশু পাচারের মতো ভুয়া ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। হোয়াটসঅ্যাপের এধরনের ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ। কী হয়েছিল? বিয়ের দিনই এই বাতিল করা হয়। বরের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে কনে বিয়ের আগেই তার হবু শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। ভারতীয় সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এই খবরে বলা হয়, আমরোহা জেলার নাওগা গ্রামে কনে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা বরের আসার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বর আসতে দেরি হওয়ায় মেয়েটির পিতা বরের পিতাকে ফোন করেন। তখন বরপক্ষকে থেকে তাকে জানানো হয় যে এই বিয়ে হবে না কারণ কনে ভাল নয়- তার "অতিরিক্ত মাত্রায় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভ্যাস" আছে। আমরোহার একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিপিন তাদা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, "বরপক্ষ এই বিয়েটি বাতিল করে দিয়েছে কারণ মেয়েটি নাকি বিয়ের আগেই হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর মেসেজ পাঠাচ্ছিল।" যৌতুকের কারণে ভারতে বহু নারীর বিয়ে ভেঙে যায়। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে নতুন দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’ পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতে আরও চার বছর বিলম্ব? তবে কনের পরিবার বলছে, আসল কাহিনি এরকম নয়। বরং সত্য ঘটনা হল- বরপক্ষ থেকে তাদের কাছে বড় অংকের যৌতুক দাবি করা হয়েছিল। আর সেকারণেই একেবারে শেষ মুহূর্তে তারা বিয়ে ভণ্ডুল করে দিয়েছে। কনের পিতা বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি করার অভিযোগে থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন। পিতা উরজ মেহান্দি দাবি করেছেন যে বরপক্ষ থেকে তাদের কাছে ৬৫ লাখ রুপি চাওয়া হয়েছিল যৌতুক হিসেবে। পুলিশকে তিনি বলেছেন, "বরপক্ষকে স্বাগত জানাতে আমাদের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবাই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল। তারা আসছে না দেখে আমি বরের পিতাকে ফোন করি। তখন তারা আমাকে জানান যে এই বিয়ে হবে না।" পুলিশ এখন পাল্টাপাল্টি এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।
ভারতে কনের অতিরিক্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগে বিয়ে বাতিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলারেরও বেশি বেহাত হয় এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট কোর্টে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মামলায় মূলত ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংক এবং এর পদস্থ কর্মকর্তাসহ কয়েক ডজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে রিজার্ভের অর্থ চুরি করতে 'অনেক বছর ধরে বড় আকারের ও অত্যন্ত জটিল পরিকল্পনা'র সাথে ব্যাংক এবং এসব ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে অজ্ঞাত কিছু উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সহযোগিতায় ওই অর্থ চুরি হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রিজার্ভ চুরির আগে চাকরি চেয়েছিল হ্যাকাররা রিজার্ভ চুরি: কেন জড়িতরা চিহ্নিত হচ্ছে না? ইলিয়াস কাঞ্চন: জীবন যখন উপন্যাসের মতই ট্র্যাজিক হ্যাকাররা 'নেসট্যাগ' ও 'ম্যাকট্রাক' নামক ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে ঢুকতে পেরেছিলো। অভিযোগ অনুযায়ী, চুরি হওয়া অর্থ নিউইয়র্ক ও ফিলিপিন্সে রিজাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে এই অর্থ ক্যাসিনোর মাধ্যমে বেহাত হয়ে যায়। হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে ঢুকেছিলো তবে ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়ের করা মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য এখনো করেনি। বুধবার তারা শুধু বলেছে, মামলাকে তারা স্বাগত জানায় কারণ তারা মনে করে এটা রেকর্ড করার সুযোগ এসেছে যে বাংলাদেশে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি যে কার্যক্রমের সূচনা করেছিলো তার ভিকটিম হয়েছে ওই ব্যাংক। ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছিলো ২০১৬ সালে যখন নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক একটি স্বয়ংক্রিয় আদেশ পায় ৮১ মিলিয়ন ডলার ছাড় করার জন্য। পরে এই অর্থ ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের শাখায় চারটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে যায় এবং সেখান থেকে দ্রুত অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে মাত্র পনের মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছেন মি. অং ম্যানিলা ভিত্তিক রিজাল ব্যাংক বারবারই বলেছে চুরির ঘটনাটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে থেকেই হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর বুধবার বলেছেন নিউইয়র্ক ফেড-এর সাথে এ মামলায় সহযোগিতার বিষয়ে তারা একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছেন। তবে নিউইয়র্ক ফেড-এর মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। প্রায় তিন বছর আগে রিজার্ভ থেকে হ্যাকাররা মূলত ১০ কোটি দশ লাখ ডলার সরিয়ে ফেলেছিলো, যার মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলংকার একটি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হলেও বানান ভুলের কারণে তা আবার ফেরত আসে। বাকী আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের ক্যাসিনোতে চলে যায় । রিজাল ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বা পনের মিলিয়ন ডলার ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারলেও বাকী অর্থের এখনো সুরাহা হয়নি। একই সাথে রিজাল ব্যাংকের যে শাখার মাধ্যমে অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো সেই ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা মায়া দেগুইতোকে গত ১০ই জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করে ৩২-৫৬ বছরের জেল ও ১০১ মিলিয়ন ডলার অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর আগে ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজাল ব্যাংককে রেকর্ড ১৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিলো ব্যাংকের মাধ্যমে ওই চুরি ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকও রিজল ব্যাংক এবং এর কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করলো নিউইয়র্কের আদালতে।
রিজার্ভ চুরি: প্রায় তিন বছর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা, আসামী ফিলিপিন্সের ব্যাংক ও ব্যাংকাররা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মার্চ মাস থেকে বন্ধ আছে ক্লাস ও পরীক্ষা পাশাপাশি, চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী ও সমমান পরীক্ষা- জেএসসি, জেডিসি এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা- পিইসিও স্থগিত করেছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, তাদের সাম্প্রতিক একটি অনলাইন সভায় এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়েছে এবং ওই সভায় যোগ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ওই কমিটির মতামত চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। সেখানে তারা মতামত তুলে ধরেছেন যে বাংলাদেশে এখনো স্কুল খুলে দেয়ার মতো অবস্থা আসেনি। এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি এসেছে অভিভাবকদের অনেকের মধ্যেই। ঢাকার বেইলি রোডের ইশরাত জাহান শাহানার স্কুল পড়ুয়া সন্তান আছে, সে কারণে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কেমন হয় তা নিয়ে বেশ উদ্বেগেই ছিলেন তিনি। "স্কুল বন্ধ রাখা এবং পরীক্ষা বাতিল করা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ", বিবিসি বাংলাকে বলছেন তিনি। আরেকজন অভিভাবক ফেরদৌসি রেজা চৌধুরী বলছেন, "এ মূহুর্তে এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলাটা অনেক টেনশনের বিষয় হতো।" ঢাকায় আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা: মুশতাক হোসেন মনে করেন, অভিভাবকদের উদ্বেগ যথার্থ কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে সেটা সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র তৈরির আশঙ্কা তৈরি করতো। "করোনা বাংলাদেশে এখনো গণসংক্রমণ পর্যায় চলছে। অন্তত ২০,০০০ করে নমুনা পরীক্ষা করে পরপর তিন সপ্তাহ সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নীচে থাকলে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর কলেজ এবং সবশেষে স্কুল খোলার চিন্তা করতে হবে," বলছিলেন তিনি। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তি থেকে নেয়া বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? পঞ্চম শ্রেনীর সমাপনী পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না এ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়লো, তেসরা অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ অনলাইন ক্লাসের সুফল শহরে, পিছিয়ে পড়ছে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা অনলাইন ব্যবহারে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে: ইউনিসেফ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল না খোলার বিষয়ে তারা যেসব যুক্তি দিয়েছেন সেগুলো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। এতে বলা হয়েছে, ওই সভাতেই স্কুল না খোলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে কমিটি সদস্যরা বলেন কিছু দেশ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিলো। "কিন্তু এর মধ্যে অনেক দেশেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী- অভিভাবকদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া। ফলে এসব দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।" কমিটি বলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হবার হার একেবারে কম নয়। "আইইডিসিআর-এর বয়স ভিত্তিক তথ্য বিভাজনে দেখা যায় আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৭-৮ ভাগ স্কুলগামী বয়সের। এছাড়াও আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি-এর যৌথভাবে পরিচালিত জরিপে দেখা যায় শতকরা ৪-৫ ভাগ শিশু সংক্রমিত হয়েছে"। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনি স্কুল না খোলার পক্ষে যেসব যুক্তি: এসব বিষয় বিবেচনা করে কমিটি তার পরামর্শ দেয় যে, "এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই"। এই অবস্থায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়ে মতামত প্রদান করে এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। শহরে কিছু স্কুল অনলাইনে শিক্ষাদান কর্মসূচি চালু করেছে ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা এর আগে বাংলাদেশে মার্চ মাসের আট তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৬ই মার্চ সরকার ঘোষণা করে যে ১৭ই মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। চলতি বছরের ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও তখন স্থগিত করা হয়। পরে সরকার যখন প্রথম দফা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ওই সময় পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এরপর দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং সবশেষ এ ছুটি ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো। তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য 'আমার ঘরে আমার স্কুল' শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য 'ঘরে বসে শিখি' শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৪০৮২ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ২,১৪৭ জন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে এখনি স্কুল না খুলতে যেসব যুক্তি বিশেষজ্ঞদের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
. ওপর তলার একটি ফ্ল্যাটে প্রায় প্রতিদিনের মত বিকেলে খেলতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সাত বছরে একটি শিশু মেয়ে। সন্ধ্যার পরও ঘরে না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে রাত আটটা নাগাদ শিশুটির রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় ভবনের সবচেয়ে উপর তলায় একটি শূন্য ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে। আজ (শনিবার) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ময়না তদন্তের পর ডাক্তাররা তাদের রিপোর্টে বলেছেন, শিশুটিকে জবরদস্তি করে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটি কখন কীভাবে এই ভয়াবহ ট্রাজেডির শিকার হলো সে সম্পর্কে বিবিসিকে ঘটনাপ্রবাহের সংক্ষিপ্ত একটি বর্ণনা দেন ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার। কীভাবে ঘটলো এই ট্রাজেডি প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যা জানতে পেরেছে সেটি এরকম: প্রতিদিনের মত বিকালের দিকে মেয়েটি ওপর তলার একটি ফ্ল্যাটে তার সমবয়সী একটি শিশুর সাথে খেলতে বের হয়ে যায়। দরজা খুলে ঐ ফ্ল্যাটের শিশুটি পরিবারের সাথে বাইরে যাবে বলে খেলতে পারবে না জানালে, মেয়েটি বাসার উদ্দেশ্যে লিফটে ওঠে। "শিশুটি তার খেলার সঙ্গী মেয়েটিকে লিফটে উঠতে দেখেছে বলে জানিয়েছে।" সন্ধ্যার সময় মাগরিবের আজানের পরও বাসায় না ফিরলে, যে দুটি ফ্ল্যাটে মেয়েটি সাধারণত খেলতে যায় সেখানে গিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে সে লাপাত্তা। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ভবনের সবচেয়ে ওপর তলা অবিক্রীত একটি শূন্য ফ্লাটের ভেতর রান্নাঘরের সিংকের নীচে মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। শাহ ইফতেখার বলেন, "শিশুটির নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছিল। গলায় রশি পেঁচানো ছিল।" আজ (শনিবার) ময়না তদন্তের পর জানানো হয়েছে, হত্যা করার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়ার মোট ৩৪৫টি সংবাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৩৫৬ ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ড. সোহেল মাহমুদ বিবিসিকে বলেন, শিশুটির দেহে ধ্বস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল। তিনি বলেন, "তাকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।" ওয়ারির অতিরিক্ত পুলিশ শাহ ইফতেখার জানিয়েছেন নিহত শিশুর বাবা একটি ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেছেন। ঐ ভবনে কাজ করে এমন ছয়জনকে পুলিশ স্টেশনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে নারী খেলোয়াড়রা কতটা নিরাপদ
উপরতলার ফ্ল্যাটে খেলতে গিয়ে যেভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হলো সাত বছরের মেয়েটি
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র পুলিশ বলছে এরপর পরপর পাঁচটি গুলি করেন তিনি, আঘাত করে দুবার এবং এর মধ্যে একবার হার্টে। এরপর পালিয়ে আত্মহত্যার চিন্তাও করেছিলেন। মিস্টার নাজাফি পুলিশ স্টেশনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এবং পুরো ঘটনাটি ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভিতেই প্রচার হয়েছিলো ব্রেকিং নিউজ হিসেবে। এরপর তিনি সেখানে বসে কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন এবং পানীয় পান করেন। কিন্তু নাজাফিকে দেখানো হচ্ছিলো ব্যাপক সৌজন্যতা যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? রোজা না করা বা প্রকাশ্যে হিজাব না পড়লে সাধারণ নাগরিকদের সাথে ভিন্ন আচরণ করা হয় সেখানে। সেখানে একজন সন্দেহভাজন খুনির সাথে তারা কথা বলছিলো বেশ সম্মানের সঙ্গেই। আর তিনি তখন তার স্ত্রীকে খুনের স্বীকারোক্তি দিচ্ছিলেন। এমনকি নাজাফি যে শান্ত ভঙ্গিতে খুনের বিবরণ দেন তা নিয়েও টুইটারে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো পুলিশ স্টেশনে কেনো নাজাফিকে ক্যামেরাবন্দী করা হচ্ছিলো। এ অনুমতি এলো কিভাবে? এর উত্তর হলো রাজনৈতিক। সংস্কারপন্থী এই রাজনীতিক পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন । তবে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলো কট্টরপন্থীদের সমালোচনার মুখে। অভিযোগ ছিল, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে মেয়েদের সাথে নেচেছিলেন। কিন্তু সেই নাচ ছিলো কট্টরপন্থীদের দৃষ্টিতে 'অনৈসলামিক কার্যকলাপ'। সংস্কারপন্থী হিসেবে মিস্টার নাজাফি বহুকাল ধরেই কট্টরপন্থীদের লক্ষ্য ছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে খুন করলেন কেনো? "আমি তাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম। আমি তার কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলাম কিন্তু সে প্রত্যাখ্যান করে। আমি একটি ভুল করেছি," মিস্টার নাজাফি বলেছেন বিচারিক কর্মকর্তাদের। ৩৫ বছর বয়সী মিত্রা ওসতাদ ছিলেন ৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিকে দ্বিতীয় স্ত্রী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইরানে বহুবিবাহ বৈধ কিন্তু তার দ্বিতীয় স্ত্রী সংস্কারপন্থী শিবিরে কিছু স্ক্যান্ডালের জন্ম দিয়েছিলো। রাজনীতির পাশাপাশি মিস্টার নাজাফি ছিলেন একজন স্বীকৃত শিক্ষাবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এমআইটিতে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তার সহকর্মীদের অনেকে তার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেননি। এ সমালোচনার জের ধরেই তেহরানের মেয়রের পদ থেকে সাত মাস আগে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রী ওসতাদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিলো তেহরানের উত্তরে একটি আবাসিক এলাকার উঁচু ভবনের সতের তলার একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তার আগের স্বামীর ঘরের তের বছর বয়সী সন্তানই খুঁজে পেয়েছিলেন মৃতদেহটি। এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন শুরু হয় যে নাজাফিই হয়তো স্ত্রীকে গুলি করেছেন। নাজাফি বলেছেন, ওসতাদ তাকে ত্যাগ করলে বা আগের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখলে সব ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছিলো। পুলিশ স্টেশনে নাজাফির ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত একটি স্বীকারোক্তিকে পরিণত হয় যেখানে তিনি স্বীকার করেন যে তিনিই তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। "আমি ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি অস্ত্র হাতে নেই ও সে বাথরুমে যায়। আমি তাকে অনুসরণ করে বাথরুমে যাই। এটা ছিলো তাকে ভয় দেখানোর জন্য। এ সময় ধস্তাধস্তি হলে সে আমার ওপর পড়ে ও অস্ত্রটি ছিলো তখন সম্পূর্ণ রেডি অবস্থায়"। পুলিশ স্টেশনে যেই রিপোর্টার তার সাথে কথা বলেন ও ভিডিও করেন তিনি বলেছেন ওই অস্ত্রে তেরটি বুলেট ছিলো যার মধ্যে পাঁচটি ভিকটিমের শরীরে আর তিনটি দেয়ালে লাগে।
স্ত্রীকে কেন খুন করেছিলেন ইরানি নেতা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে অভিযোগ তুলছেন প্রিয়া সাহা, যে ভিডিওটি বাংলাদেশে ভাইরাল হয়েছে । আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, এ বিষয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে আগে প্রিয়া সাহার বক্তব্য শোনা হবে যে, আসলে তিনি কি বলতে চেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইব্রাহিম খলিল রবিবার সকালে ঢাকার আদালতে আলাদা দুইটি মামলা করার আবেদন করেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে-তিনি এই মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরি, দেশকে অস্থিতিশীল এবং বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল বলে অভিযোগ করা হয়। তবে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে আবেদন না করার কারণে আদালত মামলার আবেদন দুইটি খারিজ করে দেন। কারণ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রাষ্ট্রের অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা করতে পারেন। রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ''অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা যায় না। তাছাড়া এ ব্যাপারে যিনি অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগের ব্যাপারে তার বক্তব্যটা আমাদের জানা দরকার। তার আগে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে আমরা যাবো না।'' তিনি বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার্তা দিয়েছেন যে, এই বিষয়ে তড়িঘড়ি করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার দরকার নেই। আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। তিনি কি বলতে চেয়েছেন সেটা জানতে হবে। তার দেশে ফিরতেও কোন বাধা নেই। '' আরো পড়ুন: 'প্রিয়া সাহা দেশে ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে' বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হয় না কেন? বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এখন ৯ শতাংশের মতো বলে মনে করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের 'ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি' শীর্ষক একটি আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের অংশ হিসাবে গত ১৭ ই জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রিয়া সাহার সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঐদিন হোয়াইট হাউসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৭ জন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তির সাথে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরা সবাই গত ১৬ থেকে ১৮ই জুলাই পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন - যার নাম ছিল 'সেকেন্ড মিনিস্টারিয়াল টু এ্যাডভান্স রিলিজিয়াস ফ্রিডম'। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এতে পাঁচ জন বাংলাদেশী এবং দু'জন রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীর একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় - যার একজন ছিলেন প্রিয়া সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে থেকে তার ভাষায় '৩৭ মিলিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান নিখোঁজ হয়েছে', তার নিজের বাড়িঘরও আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু এর কোন বিচার হয় নি। মি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন তিনি যেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সাহায্য করেন - যাতে তারা দেশে থাকতে পারে। মিজ সাহার সাথে মি. ট্রাম্পের কথোপকথনের ভিডিওটি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এক দিনের মধ্যেই। পড়তে থাকে অসংখ্য মন্তব্য। ফেসবুকসহ নানা প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় বিতর্ক। সরকারের মন্ত্রীরাও কথা বলতে শুরু করেন এ নিয়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয় যে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরণের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রিয়া সাহা দেশে ফিরলে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের সুপারিশে বীর খেতাব পাওয়া পাকিস্তানি সৈনিক উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করছে সিগারেটের বাট সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে বিক্ষোভ ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করলো ইরান বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় একটি গীর্জা কী বলেছিলেন প্রিয়া সাহা? প্রিয়া সাহার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেন ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের মুসলিম ফরিদ উদ্দিন। এর পর পাকিস্তানের নিপীড়িত খ্রীস্টানদের বিষয়ে কথা বলেন আরেকজন। তার পর কথা বলেন প্রিয়া সাহা। তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বলেন, "স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখানে ৩৭ মিলিয়ন (তিন কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের, বাংলাদেশী মানুষদের, সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। সে দেশে এখনো ১৮ মিলিয়ন (১ কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু আছেন। আমার অনুরোধ হচ্ছে, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। শুধু আমাদের দেশে থাকতে সাহায্য করুন।" তার কথার মাঝখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিজ সাহার সাথে হাত মেলান। প্রিয়া সাহা আরো বলেন, "আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের জমি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এর কোন জাজমেন্ট (বিচার) হয় নি।" এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে প্রশ্ন করেন "বাড়ি ও জমি কে নিয়েছে?" প্রিয়া সাহা একটু কথা গুলিয়ে ফেললেও পর মুহূর্তেই বলেন, "মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা সবসময়ই রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে। সব সময়।" এর পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপস্থিত অন্য প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে শুরু করেন।
প্রিয়া সাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ব্যবস্থা নয় - বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
কেপ ভার্দের আগ্নেয়গিরি - স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি সম্প্রতি কেপ ভার্দেতে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নি:সরণের পর তা নিচের গ্রামগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। লাভার স্রোত ঢুকে পড়েছে বহু লোকের বসার ঘরে পর্যন্ত, কিন্তু তারপরও তারা সেই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে চাইছেন না। সাবেক ব্রিটিশ প্যারাঅলিম্পিয়ান অ্যাথলিট এড অ্যাডেপশিয়ান দেখা করতে গিয়েছিলেন কেপ ভার্দের এমনই একজন বাসিন্দার সঙ্গে। রামিরোর বাড়ির ভেতর তার সঙ্গে প্যারা-অ্যাথলিট অ্যাডেপশিয়ান (বাঁয়ে) আসলে আমি বা আপনি কি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাদদেশে থাকতে রাজি হব? উত্তরটা নিশ্চয়ই হবে না। অথচ কেপ ভার্দের অনেক লোকজন কিন্তু ঠিক সেটাই করছেন - আর তাদেরই একজনের বাড়িতে গিয়ে একেবারে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন সাবেক প্যারা-অ্যাথলিট এড অ্যাডেপশিয়ান। রামিরোর বাড়িতে ঢুকেই তিনি দেখেন, ড্রয়িং রুমের জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েছে জমাট লাভাস্রোত। বিস্ময় চাপতে না-পেরে তিনি বলে ওঠেন, "এটা কী করে সম্ভব? এ তো অবিশ্বাস্য! দেওয়ালে পর্যন্ত ফাটল ধরে গেছে লাভার চাপে।" আগ্নেয়গিরির পাদদেশে কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ ওই বাড়ির মালিক, ব্যবসায়ী রামিরো কিন্তু বলছিলেন, "যখন অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় আমরা একেবারেই ভাবিনি যে সেটা এত ভয়ঙ্কর হবে।" "তবুও আমাদের সৌভাগ্য বলতে হবে ও আমি ও আমার ছেলে মিলে বাড়িতে যা সব দামী জিনিসপত্র ছিল তার প্রায় সবই বের করে নিতে পেরেছিলাম।" জমাট লাভা থেকে একটা পাথরের টুকরো হাতে তুলে নিয়ে অ্যাডেপশিয়ান বলতে থাকেন, "বিশ্বাস করা যায় এটা একটা আগ্নেয় শিলা?" "ভাবুন তো, নিজের ড্রয়িং রুমে বসে আপনি টিভিতে ইস্টএন্ডার দেখছেন আর রিল্যাক্স করছেন - এমন সময় হঠাৎ গরম লাভার স্রোত হুড়মুড় করে আপনার ঘরের জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ল!" "আমি তো ভেবেই স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি - বিশ্বাসই করতে পারছি না এমন কিছু কখনও ঘটতে পারে।" আগ্নেয়গিরির পাদদেশে এই সেই ফোগো আইল্যান্ড কেপ ভার্দের ফোগো আইল্যান্ডে 'পিকো দো ফোগো' আসলে একটি খুবই সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, আর এই সাঙ্ঘাতিক কান্ডটি সেই ঘটিয়েছে। সেটির অগ্ন্যুৎপাতে আচমকা ভেসে গেছে নিচের দুটি গ্রাম - কিন্তু তার পরও রামিরো ও তার বন্ধুরা কিছুতেই সেই গ্রাম থেকে সরতে রাজি নন। ওই গ্রামের লাভাবিধ্বস্ত রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে অ্যাডেপশিয়ান তাকে জিজ্ঞেস না-করে পারেন না, "মাথার ওপর এত বিশাল একটা আগ্নেয়গিরি থেকে যে কোনও সময় উদ্গীরণের ভয় - সেই আতঙ্ক মাথায় নিয়ে এই গ্রামে কীভাবে পড়ে থাকতে পারেন?" রামিরো নির্বিকারভাবে জবাব দেন, "আমি আসলে জীবনে দু-দুবার সাঙ্ঘাতিক অগ্ন্যুৎপাত দেখেছি - দেখেছি কীভাবে গরম ফুটন্ত লাভার স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।" "কিন্তু বিশ্বাস করুন কখনও দেখিনি সেই অগ্ন্যুৎপাতে কাউকে মারা যেতে - আর সেটাই আমাকে এখনও এই গ্রামে রয়ে যাওয়ার ভরসা জুগিয়েছে, আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।"
কেন বসবাস জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ঠিক নিচেই ?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করছেন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার আমেরিকা ক্লোরোকুইনের ব্যবহার অনুমোদন করেছে। ক্লোরোকুইন বহু পুরনো এবং সুপরিচিত ম্যালেরিয়ার ওষুধ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই দাবি কতটা সঠিক এবং এর কার্যকারিতাই বা কতটুকু? কয়েক দশক ধরে বাজারে ম্যালেরিয়ার চালু ওষুধ ক্লোরোকুইন। আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশে আজকাল আর এই ওষুধ খাবার পরামর্শ দেয়া হয় না কারণ ম্যালেরিয়ার জীবাণু এই ওষুধের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। কোন কোন দেশে এই ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইনবিধি জারি করা হয়েছে, কিন্তু যেসব দেশে ওষুধের বাজার মূলত বেসরকারি খাতের নিয়ন্ত্রণে সেখানে এই ওষুধ এখনও জনপ্রিয় এবং বাজারে বিক্রিও হয় অবাধে। এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য নাইজেরিয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে ওষুধের দোকানগুলোতে ক্লোরাকুইনের বিপুল চাহিদা রয়েছে বলে খবর আসছে। এবং মি. ট্রাম্পের এই বিবৃতির পর চাহিদা এত বেড়েছে যে এই ওষুধের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার প্রতিদিনের সংবাদ ব্রিফিং-এ দাবি করেছিলেন যে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) – খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক প্রশাসন করোনাভাইরাসের চিকিৎিসার জন্য ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এফডিএ আমেরিকায় কোন ওষুধ ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেবার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। ইতালিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোমের কাছে এক হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা চলছে “আমরা অবিলম্বে ব্যবহারের জন্য বাজারে এই ওষুধ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছি। এফডিএ এ ব্যাপারে দারুণ কাজ করেছে। তারা অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং এর জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।” ম্যালেরিয়া এবং আর্থ্রাইটিস-এর (বাত) চিকিৎসার জন্য স্পষ্টতই ক্লোরোকুইনের ব্যবহার অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু এফডিএ পরিস্কার করে বলেছে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়নি। “কোভিড-১৯-এর চিকিৎসা, নিরাময় বা তা প্রতিহত করার জন্য এফডিএ অনুমোদিত কোন ওষুধ নেই,” এফডিএ বলেছে। তবে এফডিএ বলেছে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন কাজ করবে কিনা তা নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে। তারা আরও বলেছে এই ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বড় পরিসরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মি. ট্রাম্প নিজেই। বিশ্ব জুড়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা কী? করোনাভাইরাসের রোগীদের নিরাময়ের জন্য যে উপযুক্ত ওষুধ খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে তার অংশ হিসাবে ক্লোরোকুইনের কথা যে ভাবা হচ্ছে তাতে বিস্মিত হবার কিছু নেই। কারণ এই ওষুধ পরিচিত, সস্তা এবং সহজে তৈরি করা সম্ভব। ম্যালেরিয়ার রোগীদের চিকিৎসায় জ্বর এবং প্রদাহ কমানোর জন্য এই ওষুধ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। “গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ক্লোরোকুইন সফল হয়েছে। ডাক্তাররা কিছু উদাহরণ হাজির করে বলেছেন এই ওষুধ কাজ করতে পারে বলে মনে হচ্ছে,” বলছেন বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদাতা জেমস গ্যালাহার। কিন্তু আসলেই কোভিড-১৯ আক্রান্তের ওপর এই ওষুধ ঠিক কীভাবে কাজ করবে সেটা চিকিৎসকদের পূর্ণ তত্ত্বাবধানে পুরোপুরি পরীক্ষা এখনও করা হয়নি, যেটা খুবই জরুরি। তবে, চীন, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং স্পেনে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ নিরাময়ে এই ওষুধ নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণার কাজ চলছে । নাইজেরিয়ার লেগোসে এক গির্জায় করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রার্থনা। সেখানে গির্জা, মসজিদ সর্বত্র আলোচনা এখন একটাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর কার্যকারিতার স্বপক্ষে সিদ্ধান্তমূলক কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু গবেষণা থেমে নেই। “এই ভাইরাসের সংক্রমেণর চিকিৎসায় কোন্ ওষুধ বা কীধরনের চিকিৎসা কাজ করবে তা জানার জন্য চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল বা পরীক্ষা আমাদের চালাতে হবে এবং সেগুলো কাজ করছে কী করছে না সে বিষয়ে আমাদের পুরো তথ্যপ্রমাণ পেতে হবে,” বলেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ নেটওয়ার্কের পরিচালক প্রফেসর ট্রুডি ল্যাং। তবে এই ক্লোরোকুইন নিয়ে ঔৎসুক্য এবং আগ্রহ ইতোমধ্যেই বাড়ছে। গুগল ট্রেন্ডের তথ্য অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে ক্লোরোকুইন ওষুধ সম্পর্কে খোঁজখবর ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এলন মাস্ক নামে এক ব্যবসায়ী এই ওষুধ নিয়ে যেসব গবেষণা চলছে সে বিষয়ে যে টুইট করেছিলেন তা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন ফেলে দিয়ছিল। নাইজেরিয়াতে শুরু হয়ে গেছে এই ওষুধ কেনার হিড়িক করোনাভাইরাস মহামারির খবর এখন নাইজেরিয়ায় প্রত্যেক মানুষের মুখে। গির্জায়, মসজিদে, স্কুলে সর্বত্র আলোচনার বিষয় এখন একটাই – জানাচ্ছেন লেগোসে বিবিসি পিজিন সার্ভিসের ড্যানিয়েল সেমেনিওরিমা। ২০০৫ সালে ক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যাবার পর এখনও দেশটির ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ক্লোরোকুইনের ব্যবহার চালু রয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে চীনে ফেব্রুয়ারি মাসে চালানো এক সমীক্ষার খবরের পর বিষয়টি নিয়ে লেগোসে তুমুল আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়ে যায় এবং লোকজনের মধ্যে ক্লোরোকুইন কিনে ঘরে মজুত করার হিড়িক পড়ে যায়। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? মি. ট্রাম্প করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ক্লোরোকুইনের কথা উল্লেখ করার পর থেকে এই আলোচনা আরও গতি পেয়েছে এবং ওষুধের দোকানগুলোতে অতি দ্রুত ক্লোরোকুইনের মজুত ফুরিয়ে গেছে। তবে নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল মানুষজনকে এই ওষুধ না খাবার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও #কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ক্লোরোকুইনের ব্যবহার অনুমোদন করেনি। নাইজেরিয়ার রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে জনগণকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে তারা যেন নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা না করেন। বিবিসির লেগোস সংবাদদাতা বলছেন নাইজেরিয়ায় মানুষজন নিরাপদে থাকার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছে না। লেগোসে ক্লোরোকুইন অতিমাত্রায় খেয়ে মানুষ এখন নিজেদের শরীরে যে বিষক্রিয়া ঘটাচ্ছে তা সামলাতে সেখানকার কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিবিসির জ্যাক গুডম্যানের প্রতিবেদন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ হলেই মুক্তি পাবেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে কেন অনেকে দু'বার সংক্রমিত হচ্ছেন? করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গেল টোকিও অলিম্পিকস বাংলাদেশে আরো একজনের মৃত্যু, আরো ছয়জন আক্রান্ত করোনাভাইরাস : আপনার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্নের উত্তর
করোনাভাইরাস: কোভিড ১৯ সংক্রমণের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহারে ট্রাম্প কেন এত আগ্রহী?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফ্রান্সের নির্বাচনে ওবামাকে প্রার্থী করার জন্য চলছে প্রচারণা প্যারিসে এমনকি ওবামার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পোস্টার পর্যন্ত পড়ে গেছে। এতে শোভা পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ওবামার সেই জনপ্রিয় শ্লোগান, "ইয়েস, উই ক্যান।" প্রেসিডেন্ট ওবামা যেহেতু ফ্রান্সের নাগরিক নন তাই সেখানে তাঁর প্রার্থী হওয়ার কোন সুযোগই নেই। কিন্তু যারা এই প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা বলছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কেউই যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারছেন না সেটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণই তাঁদের লক্ষ্য। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২৩শে এপ্রিল। যদি কোন প্রার্থীই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তখন সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ফ্রান্সের নির্বাচনে কট্টর দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারিন লে পেন এখনো পর্যন্ত জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন। তবে ভোট যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়ায় তখন তিনি মধ্য দক্ষিণ পন্থী প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলন বা মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাকরনের কাছে হেরে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মারিন লে পেনকে কিভাবে ঠেকানো যায় সেটা নিয়ে নানা ধরণের কথাবার্তা চলছে ফ্রান্সে। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কাল্পনিক প্রার্থী করার আইডিয়াটা মূলত সেখান থেকেই এসেছে। ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ জনপ্রিয় এই প্রচারণার পেছনে যারা আছেন, তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করছেন না। একজন বলেছেন, তারা একটা কৌতুক হিসেবে এটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু অনেকে এটাকে আবার খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন যেটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। "আমরা এটাকে একটা 'জোক' হিসেবেই রাখতে চাই।"
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামাকে প্রার্থী হওয়ার আহ্বান
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন সবসময়ই প্রশংসিত হন তার গোল করার দক্ষতার জন্য। যেমন ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হলো লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই প্রথম গোলটি দিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৭৯ সেকেন্ড। সেই গোলটি দিতে তাকে ফুটবল স্পর্শ করতে হয়েছে মাত্র তিনবার । প্রিমিয়ার লীগের দু বারের শীর্ষ গোলদাতা কেইন এককভাবে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক। শেষ ষোলোতে কলাম্বিয়াকে হারানো পেনাল্টি গোলের মাধ্যমে তার গোলের সংখ্যা ছটি। তার কাছেই আছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু এবং এরপরেই আছেন ফরাসী তারকা কিলিয়েন এমবাপ্পেসহ কারও কয়েকজন। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারও ছটি গোল করেছিলেন তবে এবার কেইনের সামনে আরও অন্তত দুটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিশ্চিত আর সেটি হলো সেমিফাইনাল, যাতে তার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০১৮: ইংল্যান্ড আসলে কতটা শক্তিশালী বিশ্বকাপ ২০১৮: প্রধান ৮ দাবিদারের শক্তি ও দুর্বলতা এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে গোল গুলো এসেছে আর সেমিফাইনালে জিতলে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের। এসব কারণে হ্যারি কেইনের গোল সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখনো। হ্যারি কেইনের গোলগুলো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কারা? তার ছটি গোলের মধ্যে তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। আর একটি হেড থেকে ও দুটি বক্সের ভেতর থেকে। এর পরে সবচেয়ে বেশি চারটি গোল করেছেন লুকাকু যার তিনটি বক্সের ভেতর থেকে আর একটি হেডে। ফরাসী তারকা গ্রিজম্যানের তিন গোলের মধ্যে দুটি পেনাল্টি আর একটি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে। এমবাপ্পের তিনটি গোলই এসেছে বক্সের ভেতর থেকে। এছাড়া দুটি করে গোল আছে ক্রোয়েশিয়া মদরিচ আর বেলজিয়ামের হ্যাজার্ডের । মজার বিষয় হলো হ্যারি কেইন ছটি গোল করতে শট মেরেছেন দশটি। আগের গোল্ডেন বুট জয়ী কারা ? ২০১০ এর বিশ্বকাপে প্রথম গোল্ডেন বুট দেয়া শুরু হয়। এর আগে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেয়া হতো গোল্ডেন শু , আর এর আগে আনুষ্ঠানিক পদক না দিলেও দেয়া হতো সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি। এবার কেইন ইতোমধ্যেই ছয় গোল দিয়েছেন। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার রদ্রিগেজ ও ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার সুকার ছয়টি করে গোল দিতে সর্বোচ্চ গোলদাতার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। তবে ত২০০২ সালে সর্বোচ্চ আট গোল করে গোল্ডেন জুতো পেয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনালদো। আর ২০০৬ ও ২০১০ সালে পাঁচটি করে গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন যথাক্রমে জার্মানির ক্লোসার ও মুলার। আগে যারা সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন (কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত) গোল্ডেন বুটের গুরুত্ব কতটা ? সংক্ষেপে বলতে গেলে নিজের ক্যারিয়ার বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে ভালো জায়গা নেয়া এসবের জন্য গোল্ডেন বুটের গুরুত্ব আছে। যেমন গ্যারি লিনেকার। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ৬ গোল দিয়েছিলেন গ্যারি লিনেকার ছিয়াশির বিশ্বকাপের পর বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় লিনেকারের। হাঁটুর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে ২০০২ এর বিশ্বকাপে আট গোল করেছিলেন রোনালদো। ওই সময়ের বিশ্বের সেরা তারকা মানা হতো তাকে। বিশ্বকাপের পরই ইন্টার মিলান ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন আর পরের বারই পেয়ে যান ব্যালন ডি অ'র। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কারা উঠতে পারে এবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের বিদায়ে বিপাকে টিভি চ্যানেল নেইমার : পাকা অভিনেতা নাকি রেকর্ড ফাউলের শিকার
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮: গোল্ডেন বুট ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনই পাচ্ছেন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫৭ জন আরোহীর সবাই মারা যায় ভারতের যে এয়ারলাইনগুলোর কাছে এই ধরনের বিমান আছে, বুধবার মধ্যরাতে দেশের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা তাদের জানিয়ে দিয়েছে - এবং এর ফলে ভারতে প্রতিদিন অন্তত আশিটি রুটের বিমান চলাচল প্রভাবিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়াতে পর পর দুটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স এইট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বহু দেশই এই বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সেই তালিকাতে ভারতের নামও এখন যুক্ত হলো। ভারতের দুটি প্রথম সারির বেসরকারি এয়ারলাইন - স্পাইসজেট ও জেট এয়ারওয়েজের হাতে এই মুহুর্তে মোট আঠারোটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স বিমান রয়েছে, যে এয়ারক্র্যাফট নিয়ে বিতর্ক আর সন্দেহ এখন সারা দুনিয়া জুড়ে। বুধবার থেকে সেগুলো আকাশে উড়ছে না, ভারতের আকাশেও ঢুকতে পারছে না এই বিমান। ভারতে ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন সেক্টরের জন্য এই সিদ্ধান্ত একটা বড় ধাক্কা, কিন্তু এছাড়া কোনও উপায় ছিল না বলেই মনে করছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞ হর্ষ বর্ধন। বোয়িং-এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তিনি বলছেন, "সুরক্ষার স্বার্থেই এই বিমানগুলোকে গ্রাউন্ড করার সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখন এগুলোকে আবার পুরোদস্তুর পরীক্ষা করা দরকার, কোনও ত্রুটি পাওয়া গেলে সেগুলো শোধরানো দরকার। পাইলটদের এগুলো চালানোর প্রশিক্ষণে কোনও ফাঁকফোকর থাকলে সেটাও দেখতে হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: একের পর এক দেশ নিষিদ্ধ করছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স অনেকগুলো এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যেই বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স এইট বিমান ওড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে। "এমনিতে বোয়িং একটি দারুণ সংস্থা - বিশ্বে এভিয়েশনের সম্প্রসারণ ও বিপ্লবে তাদের অনেক অবদান অনেক - কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপস করতে হবে।" সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠলেও বোয়িং সেগুলোর জবাব দিতে এখনও স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে পারছে না বলেই মনে করছেন দিল্লির সঙ্গীতা সুনেজা - যার ছেলে ভাব্যে সুনেজা ছিলেন গত অক্টোবরে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ার ফ্লাইটটির পাইলট। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম ওই ঘটনার পর বোয়িং বা লায়ন এয়ার তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেছিল কি না। মিসেস সুনেজা জানাচ্ছেন, "বোয়িং তো আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেইনি - বরং তারা এই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নই এড়িয়ে যাচ্ছে। আমি তো বলব তারা ভীষণ উদ্ধত একটি কোম্পানির মতো আচরণ করছে।" "আমি নিজে একটি এয়ারলাইন সংস্থায় তেত্রিশ বছর কাজ করেছি - এবং আমি জানি যখনই কোনও নতুন উড়োজাহাজ কেনা হয়, তখন নানা ছোটখাটো টেকনিক্যাল গ্লিচ বা ত্রুটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এটা তো একটা মারাত্মক ত্রুটি - তারপরেও আমরা বোয়িংয়ের কথা কেন বিনা প্রশ্নে মেনে নিচ্ছি, কেন অন্ধভাবে তাদের বিশ্বাস করছি?" বোয়িংয়ের পক্ষে এই মুহুর্তে এখন একমাত্র যুক্তি হল, আমেরিকার প্রায় সব এয়ারলাইনই এখনও সেভেনথ্রিসেভেন ম্যাক্স আকাশে ওড়াচ্ছে, এটিকে নিষিদ্ধ করেনি এয়ার কানাডাও। লন্ডনের হিথরো বিমান বন্দরেও বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স এইট ওঠানামা বন্ধ কিন্তু কীসের ভিত্তিতে তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয় বলেই বলছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ সত্যেন্দ্র পান্ডে। মি. পান্ডের কথায়, "উত্তর আমেরিকার রেগুলেটররা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তারা এই বিমান গ্রাউন্ড করবেন না তাহলে তাদের কিন্তু জানানো দরকার অমুক অমুক কারণে আমরা বোয়িং সেভেনথ্রিসেভেন ম্যাক্স গ্রাউন্ড করছি না। সেটা না বলে তারা শুধু এটুকু বলেই দায় সারছেন, যে এই বিমান যে বিপজ্জনক তার পক্ষে যথেষ্ট ডেটা নেই।" "কিন্তু এটাই কি যথেষ্ট ডেটা নয় যে এভিয়েশনের ইতিহাসে আর কখনও একই ধরনের দুটো বিমান মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে একইভাবে ভূপাতিত হয়নি? আর তাতে মারাও গেছেন প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ?" ভারতও প্রথমে সেভেনথ্রিসেভেন ম্যাক্স-কে পুরোপুরি গ্রাউন্ড না-করিয়ে এক হাজার ঘন্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের দিয়েই কেবল তা চালানো যাবে বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সুরক্ষার প্রশ্নটি ক্রমে এতটাই বড় আকার নেয় যে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তারাও সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের পথেই হাঁটতে বাধ্য হলো। আরো পড়ুন: 'সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ একটি পদও পাবে না' - নূর ডাকসু নির্বাচন: যে সমীকরণে দাঁড়ালো এমন ফলাফল ডাকসুতে ছাত্রলীগের শোভন পরাজিত, নুরুল ভিপি
বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স এইট ওড়া বন্ধ করলো ভারতের এয়ারলাইন্সগুলোও
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফোন করে সবাই বলিউড তারকা সানি লিওনকেই চাইছে। অনবরত ফোন আসায় তিনি বিরক্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ছেন বলে জানান। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত অর্জুন পাতিয়ালা ছবিতে দেখা যায় অভিনেত্রী ও পর্ন তারকা সানি লিওন তার নিজের একটি ফোন নাম্বার পড়ছেন। কিন্তু আসলে এই নাম্বারটির মালিক ২৬ বছর বয়সী পুনিত আগরওয়াল। মি. আগরওয়াল বিবিসিকে বলেন, গত ২৬শে জুলাই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে কল পাচ্ছেন। "আমি এখন স্বপ্ন দেখারও সুযোগ পাই না," বলছেন তিনি, "ভোর চারটা পর্যন্ত একটার পর এটা কল আসতে থাকে।" এই ঘটনায় তিনি এতটাই বিরক্ত হয়েছে যে তিনি চেষ্টা করছেন আইনগত পথে সিনেমায় তার নাম্বারটিকে যেন শব্দ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় সেই ব্যবস্থা করতে। সানি লিওন একজন সাবেক আমেরিকান পর্ন তারকা যিনি বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করেন। পুনিত আগরওয়াল প্রতিদিন ১০০টি করে কল পাচ্ছেন। নানা ধরনের যৌন রোমাঞ্চ কাহিনী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবিতে অভিনয় করেন। বলিউডে তাকে 'সেক্স সিম্বল' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে সিনেমাটি মুক্তির পর অনেকেই ধরে নেন এটি সানি লিওনের নিজস্ব ফোন নাম্বার এবং মি. আগরওয়াল ভারতের নানা জায়গা থেকে ফোন কল পেতে শুরু করেন। "তারা [ছবির পরিচালক] তো ছবি রিলিজের আগে অন্তত একবার যাচাই করে দেখতে পারতো যে এই ফোন নাম্বারটি সত্যি কেউ ব্যবহার করছেন কি না," বলছেন মি. আগরওয়াল। অর্জুন পাতিয়ালা ছবির পরিচালক রোহিত যুগরাজ চৌহান এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পুনিত আগরওয়াল বলছেন, ছবি রিলিজের পর থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না, ঘুমাতে পারছেন না, এমনকি শান্তিতে খেতেও পারছেন না। তিনি ফোন নাম্বারটি বদলে ফেলতেও রাজি না কারণ তার ব্যবসার জন্য এবং অনেক বন্ধু নাম্বারটি ব্যবহার করে থাকেন। তার কাছে প্রথম ফোন কলটি আসে সিনেমাটি যেদিন মুক্তি পায়। কলার সানি লিওনের সাথে কথা বলতে চান। অর্জুন পাতিয়ালা সিনেমাটি একটি রোমান্টিক কমেডি। আরও পড়তে পারেন: করণজিৎ কৌরই কি আসল সানি লিওন? সানি লিওনের পিছু ছাড়ছে না পর্ন-তারকার অতীত কিন্তু তিনি রং নাম্বার বলে কলটি কেটে দেন। এর পর একে একে কল আসতে থাকে। তিনি বলছেন, "প্রথমে দুটি, এরপর তিনটি এভাবে যখন ১০টি কল পাই তখন ভেবেছিলাম আমার সাথে কেউ রসিকতা করছে। ভেবেছিলাম হয়তো আমার কোন বন্ধুর কাজ।" কিন্তু এরপর থেকে তিনি ফোন কলের বন্যায় ভেসে যান। সবাই জিজ্ঞেস করে, "সানি লিওনের সাথে কথা বলতে পারি?" তার নাম্বার নিয়ে কোন একটা ঝামেলা হয়েছে বুঝতে পেরে মি. আগরওয়াল নিজেই সিনোমটি দেখাতে যান। "ছবিটিতে দেখলাম সত্যি আমার নম্বরটিই ব্যবহার করা হয়েছে," বলছেন তিনি, "এটাতে কলারদের কোন দোষ ছিল না। সত্যি আমার নাম্বারটিই ব্যবহার করা হয়েছে।" এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশও কোন আগ্রহ দেখায়নি বলে তিনি জানান। মি. আগরওয়াল জানান, বেশিরভাগ কল এসেছে ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা রাজ্য থেকে। ভারতের বাইরে পাকিস্তান, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি থেকেও তিনি কল পেয়েছেন। সানি লিওনকে নিয়ে বিবিসির ভিডিও (ইংরেজিতে): 'Hopefully people will see me evolving as the years go by' বিবিসি বাংলায় আরও খবর: রাশিয়া চুক্তি থেকেও সরে দাঁড়ালো যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্রিকেট কি পেছন দিকে হাঁটছে? ডেঙ্গু জ্বর: ঈদে সারাদেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা কতটা
'পর্ন তারকা সানি লিওনকে পেতে লোকে ফোন করছে আমাকে'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারির পর বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে ছবিটি পাঠিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল। হেফাজতে ইসলাম যাতে কোনভাবেই এই সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ এবং নিমতলা বাসস্ট্যান্ডসহ চারটি জায়গায়। গত সপ্তাহের হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের সময় মুন্সীগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা আহত হয়েছিলেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট লকডাউন অকার্যকর হলে সেনাবাহিনী ও কারফিউর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের 'শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে কেন আটক করলো র‍্যাব হেফাজতে ইসলাম ও সরকারের সম্পর্ক কি ভেঙ্গে গেলো? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতে ইসলামের সহিংস বিক্ষোভের সময় মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারীর পর বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পিছু হঠেছে হেফাজতে ইসলাম। বুধবার সন্ধ্যায় তারা সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এর আগে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোনেম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে হেফাজতে ইসলাম যদি সভা-সমাবেশ কিংবা লোক জড়ো করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ করেছিল হেফাজতে ইসলাম - ফাইল ছবি পুলিশ সুপার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনওভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, যে কোন ধরণের সংঘাতের আশংকায় ৫০০'র বেশি পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, হেফাজতে ইসলামের সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে এবং মুন্সীগঞ্জের ওই এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা জড়ো হবেন না। পুলিশ কঠোর হবার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মি. ফয়সাল বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া, প্রশাসনের তরফ থেকেও আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল।"
হেফাজতে ইসলাম: মুন্সীগঞ্জের কুচিয়ামোড়ায় ১৪৪ ধারা জারী, সমাবেশ থেকে পিছু হঠেছে হেফাজত
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মহাকাশে টিকে থাকতে পারে, এমন প্রথম প্রাণি মনে করা হচ্ছে টার্ডিগ্রেডদের (কল্পিত ছবি) টার্ডিগ্রেডস - যাদেরকে 'ওয়াটার বেয়ার' বা পানির ভাল্লুকও বলা হয় - এক মিলিমিটারের চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের প্রাণী যারা ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলেও যেমন টিকে থাকতে পারে, তেমনি শুণ্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় জমিয়ে ফেললেও তাদের বেঁচে থাকতে খুব একটা কষ্ট হয় না। ইসরায়েলের একটি মহাকাশযানে করে তারা চাঁদে পৌঁছায়, যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে। আর ঐ ওয়াটার বেয়ারগুলোকে যেই প্রতিষ্ঠান মহাকাশযানে রেখেছিল, সেই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতার দৃঢ় বিশ্বাস যে তারা ঐ দুর্ঘটনার পর এখনও বেঁচে রয়েছে। ওয়াটার বেয়ারগুলোকে আদ্রতাশুণ্য করে এমনভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয় যেন তাদের সহজেই পুনরুজ্জীবিত করা যায় এবং তারপর সেগুলোকে কৃত্রিম অ্যাম্বারের মধ্যে রাখা হয়। আর্চ মিশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নোভা স্পিভ্যাক বলেন, "আমাদের বিশ্বাস, টার্ডিগ্রেডগুলোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক।" আরো পড়তে পারেন: ভারতকে চাঁদ আর মঙ্গলে পৌঁছে দিয়েছেন যিনি মহাকাশে এবার 'মেইড ইন চায়না' নকল চাঁদ! চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? টার্ডিগ্রেড বা ওয়াটার বেয়ার দেখতে অনেকটা এরকম আর্চ মিশন ফাউন্ডেশন পৃথিবীর 'ব্যাকআপ' রাখার চেষ্টা করে। মানুষের জ্ঞান এবং পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহে তারা পাঠায়, যেন পৃথিবীর সকল প্রাণী হঠাৎ বড় কোন বিপর্যয়ের মুখে পড়লে সেগুলো একেবারে হারিয়ে না যায়। বেরেশিট রোবট ল্যান্ডার তাদের 'লুনার লাইব্রেরি' নিয়ে যাত্রা করে চাঁদের উদ্দেশ্যে। এই লুনার লাইব্রেরিকে একটি ডিভিডি'র সাথে তুলনা করা যায়, যার মধ্যে পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাসের ৩ কোটি পৃষ্ঠার একটি সংকলনের পাশাপাশি মানুষের ডিএনএ'র আর্কাইভও রয়েছে। আর ঐ যাত্রায় এই লাইব্রেরির সাথে ছিল আর্দ্রতাশুণ্য টার্ডিগ্রেডগুলো। অধিকাংশ প্রাণীকেই একবার পানিশুণ্য করে ফেলার পর তাকে আর পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হয় না, কিন্তু এই ওয়াটার বেয়ারগুলো এই ক্ষেত্রে ভিন্ন। ওয়াটার বেয়ারগুলোর আরেকটি মজার নাম হলো 'মস পিগলেট' বা শৈবাল শূকরছানা। আর্দ্রতাশুণ্য অবস্থায় কয়েক দশক থাকার পরও এগুলোকে জীবিত করা সম্ভব হয়। বৈজ্ঞানিকরা মনে করেন, এটি টার্ডিগ্রেডদের একটি সুপার পাওয়ারই বলা চলে। আর্দ্রতাশুন্য অবস্থায় কয়েক দশক থাকার পরও এগুলোকে জীবিত করা সম্ভব হয়। শুকিয়ে যাওয়ার পর এরা মাথা এবং আটটি পা অনেকটা শরীরের ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়ে ছোট একটি বলে রূপান্তরিত হয় এবং এমন একটি অবস্থায় যায় যার সাথে মৃত্যুর তুলনা করা যেতে পারে। তারা তখন শরীরের প্রায় সব পানি ঝরিয়ে ফেলে এবং তাদের মেটাবলিজম স্বাভাবিক হারের প্রায় ০.০১ ভাগ হারে চলতে থাকে। আর কয়েক দশক পর পানি পেলে তারা আবার পুনর্জন্ম লাভ করতে সক্ষম হয়। আর্চ মিশনের লুনার লাইব্রেরির জন্য তাদেরকে যোগ্য প্রার্থী মন করার আরেকটি কারণ, ২০০৭ সালে মহাকাশে টিকে থাকা একমাত্র প্রাণী ছিল এই টার্ডিগ্রেড। "টার্ডিগ্রেড এই লাইব্রেরির জন্য শ্রেষ্ঠ কারণ তারা অতি ক্ষুদ্র, বহুকোষী এবং পৃথিবীর বুকে থাকা সবচেয়ে টেকসই প্রজাতির প্রাণীগুলোর মধ্যে একটি", বলেন নোভা স্পিভ্যাক। চন্দ্রপৃষ্ঠে দুর্ঘটনার পরও ওয়াটার বেয়ারগুলো বেঁচে থাকলেও তাদের সেখানে উপস্থিতি কিছুটা শঙ্কায়ও ফেলছে বৈজ্ঞানিকদের। "এর অর্থ হলো চাঁদের যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক একটি পরিবেশ ছিল, তা পরিবর্তিত হয়ে গেল", জানান ওপেন ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি। এই প্রাণিগুলো ভুলবশত চাঁদের পৃষ্ঠে কোন মহাকাশ যখন পৃথিবী ত্যাগ করে, তখন 'আউটার স্পেস ট্রিটি'র মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ থাকে যেন তারা মহাবিশ্বের পরিবেশকে কোনভাবে সংক্রমিত না করে। "আপনি বলতে পারেন যে নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ আলড্রিন যখন সেখানে গেলেন, তারাও এই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছিলেন। সেটি আংশিক সত্য। কিন্তু তারপর থেকে মহাকাশের বাইরের এসব অঞ্চলকে কীভাবে সংরক্ষিত রাখতে হয়, সেবিষয়ে আমরা আরো অনেক কিছু জানতে পেরেছি।" "আমার মনে হয় না চাঁদের পৃষ্ঠে আর্দ্রতাহীন টার্ডিগ্রেড ছাড়ার অনুমতি কেউ পেত, সেই হিসেবে এটি খুব একটা ভাল বিষয় নয়।" টার্ডিগ্রেডগুলো যদি চাঁদে থাকে, তাহলে পানি ছাড়া তাদের আবারো পুনর্জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু তত্বগতভাবে হিসেব করলে, এই টার্ডিগ্রেডগুলোকে আবার পৃথিবীতে ফেরত এনে পুনরুজ্জীবিত করে গবেষণা চালিয়ে বোঝা সম্ভব যে চাঁদে থাকার কারণে তাদের মধ্যে কী পরিবর্তন এসেছে। কাজেই আপনি এখন চাঁদের দিকে তাকালে ভাবতেই পারেন যে, আপনার দিকে হাজার হাজার (পানিশুণ্য) ওয়াটার বেয়ার তাকিয়ে রয়েছে।
চাঁদে আটকা পড়ে যাওয়া অবিনশ্বর 'ওয়াটার বেয়ার' আসলে কী?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণার। সম্প্রতি সিনেমার তারকাদের সাথে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের জনসচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের ভিডিও সমালোচিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে। ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশের কয়েকজন সিনেমা তারকাদের সাথে তারা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন এবং মশার ওষুধ দিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই ধরণের কার্যক্রমকে অনেকেই 'লোক-দেখানো' এবং 'অপ্রয়োজনীয়' বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুস সবুরও মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে এই ধরণের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম খুব একটা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে না। "দুঃখজনকভাবে সত্যি যে, প্রচার প্রচারণার যে ভঙ্গি দেখছি সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে দেখছি না," বিবিসিকে বলেন মি. সবুর। আবদুস সবুরের মতে, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণত দুর্যোগে আক্রান্তদের সহায়তা এবং দুর্যোগ ছড়িয়ে না পড়ার জন্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন হয়। "ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে, এই দুই ক্ষেত্রেই বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি এবং সমন্বয়হীনতার কারণে সেসব পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে," - বলেন মি. সবুর। "ঝাড়ু দেয়া বা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি করা হয়েছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে। কিন্তু আমাদের জনস্বাস্থ্য অভিজ্ঞতা বলে যে মানুষকে সচেতন করলেই যে তারা সচেতন হয়ে তা পালন করবে, এমন কোন কথা নেই।" সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আইন প্রয়োগ করে মানুষকে বাধ্য করা হলে তা কিছুটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন মি. সবুর। আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গুর আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সরা শিশুর ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন, করণীয় কী ঢাকায় হাসপাতালগুলো সয়লাব হয়ে আছে ডেঙ্গু রোগী কিংবা জ্বর পরীক্ষা করতে আসা রোগীতে 'চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল কার্যকর পদ্ধতি নয়' গত কয়েক মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এই চাপ সামাল দিতে জুলাই মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কতটা কার্যকরভাবে করা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মি. সবুর। "ডাক্তার-নার্সরাও তো মানুষ, তাদেরও তো ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার রয়েছে।" মি. সবুরের মতে, একজন চিকিৎসককে দিয়ে টানা ডিউটি না করিয়ে এই সমস্যা নিরসনে নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি চিন্তা করে দেখা যেতে পারে। "হাসপাতালে যখন অতিরিক্ত সংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে এবং সেখানকার ডাক্তারদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন রোগীর চাপ সামাল দিতে আরো বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া উচিত।" বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলোর জুনিয়র ডাক্তার, লেকচারার - যারা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন - তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মি. সবুর। সেক্ষেত্রে কিছুদিন মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ রাখতে হবে। মি. সবুর বলেন, "১৯৮৮ সালে আমি ঢাকার ডেপুটি সিভিল সার্জন থাকার সময় ঢাকায় বন্যা পরিস্থিতি যখন খারাপ হয়, তখন বন্যার্তদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে কলেজের লেকচারারদের জরুরি সেবায় নিয়োগ দেয়ার আবেদন করেছিলাম।" "ঐ সিদ্ধান্তের কারণে সেসময় অতিরিক্ত পাঁচশো থেকে সাতশো ডাক্তারের সেবা পাওয়া সম্ভব হয়েছিল।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর: ঈদে সারাদেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা কতটা ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ঢাকার একটি হাসপাতালের চিত্র
ডেঙ্গু জ্বর: দুর্যোগ নিরসনে প্রচারণার তুলনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না - জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মত
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
জুলাইয়ের প্রথম ২৯ দিনে বিভিন্ন দেশের তথ্য যাচাই করে পাওয়া গিয়েছে যে, ২০১৬ সালের জুলাইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের সাথে সেসব দেশের এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 'সামান্য বেড়েছে' অথবা 'সমান অবস্থায়' রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্রাইমেট চেইঞ্জ সার্ভিস, সিথ্রিএস'এর গবেষকরা এই পর্যালোচনাটি করেছেন। তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে কিনা - তা নিশ্চিতভাবে জানতে সোমবার এ বিষয়ের পূর্ণ বিশ্লেষণ প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বে তাপমাত্রা যে অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে, তারই উদাহরণ এটি। সিথ্রিএস'এর সংকলিত নতুন তথ্য ভূ-পৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন স্টেশন এবং স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। সংস্থার ৪০ বছরের ডেটাবেজ যাচাই করে ধারণা করা হচ্ছে যে, এ বছর জুলাইয়ে যে তাপমাত্রা ছিল তা অন্য যে কোন সময়ের তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। একাধিক সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এবছরের জুন মাস অতীতের যে কোন বছরের জুন মাসের চেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল। সিথ্রিএস'এর তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসের মধ্যে চারটি মাসই অতীতের যে কোন সময়ের ঐ মাসগুলোর হিসেবে উষ্ণতম মাস ছিল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গরমে অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায় কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস পৃথিবীর সবচেয়ে গরম জায়গা এখন রাজস্থানের চুরু তীব্র গরমে অস্থির ইউরোপের জীবন ভূ-পৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন স্টেশন ও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে এটি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও গবেষকরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টির সাথে সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের যোগসূত্র স্থাপন না করলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের কারণে তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে নতুন তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে। সিথ্রিএস সংস্থার ফ্রেয়া ভ্যামবর্গ বিবিসি নিউজকে জানান, "এই জুলাই মাসটি অতিরিক্ত উষ্ণ হলেও আমার কাছে সেটি মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হলো, অতীতের বছরগুলোর তুলনায় ২০১৯ সালের অধিকাংশ মাসই উষ্ণতর ছিল।" "আর আমরা গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর উদ্যোগ না নিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।" জুলাইয়ে পর্তুগালের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজারখানেক দমকলকর্মীকে কাজ করতে হয় বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি জুলাই ঐতিহাসিকভাবেই বছরের উষ্ণতম মাস। তার উপর এ বছরে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেরু অঞ্চলে তাপদাহের তীব্রতা অস্বাভাবিক বেশি ছিল। যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস সহ অনেক দেশেই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-উপকূল এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। মেরু অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় রাশিয়ার উত্তরে লক্ষ লক্ষ হেক্টর ভূমির ক্ষতি হয়েছে। ভারতে তাপদাহের পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল তীব্র পানি সঙ্কট। জাপানে গতসপ্তাহে তীব্র তাপদাহের কারণে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। বেসরকারি সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের ড. ক্রিশ্চিয়ান ক্রেমার বলেন, "আমার যদি কার্বন নির্গমন বাড়াতেই থাকি, তাহলে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিনদিন বাড়বে, এটা তারই একটি উদাহরণ।" "উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক মানুষ এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেশ কিছুদিন ধরেই সহ্য করছেন। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যের মত উন্নত বিশ্বের দেশেও তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।" পূর্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুলাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ মাস। ১৮৮০ সাল থেকে তারা এই রেকর্ডটি লিপিবদ্ধ করে আসছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, নাসা'র তথ্য পর্যালোচনা করলে অবশ্য এবিষয়ে কিছুটা ভিন্নধর্মী সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুলাই এবং ২০১৭ সালের জুলাই উষ্ণতম মাস হওয়ার দৌড়ে পরিসংখ্যানগতভাবে সমতাবস্থায় রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সংস্থাগুলো ২০১৯ সালের জুলাই মাসের আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করবে। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বন্দুক হামলা, নিহত ৯ ভুতুড়ে এক শহরে রূপার খোঁজে ২২ বছর 'প্রচারণা অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখছি না'
ইতিহাসের 'সবচেয়ে উষ্ণতম' মাস দেখলো বিশ্ববাসী
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরি ঢাকা কলেজের পেছনে শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বর্তমানে নায়েম) ছোট্ট মিলনায়তনটিতে ওই পাঠচক্রটি শুরু হয় বছরের একেবারে শেষের দিকে। সদস্য ছিলেন মাত্র ১৫জন। সেই পাঠচক্রে ঠিক হয় যে প্রতি সপ্তাহে তারা প্রত্যেকে একটি নির্ধারিত বই বাড়িতে নিয়ে পড়বেন। পরের সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে সেখানে এসে ওই বই নিয়ে আলোচনা হবে। পাঁচ বছর পর এই পাঠচক্রের সাফল্য দেখে এটি স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করলেন প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তখন ঢাকা কলেজের শিক্ষক মি. সায়ীদ শিক্ষকতার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজে হাত দিলেন, যেটি কিশোর-তরুণদের মাঝে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বার্তা নিয়ে যাবে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের শুরু সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ লিখেছেন, আমি শিক্ষক মানুষ। একজন শিক্ষক যেভাবে এমন পরিস্থিতির জবাব দেয়ার কথা ভাবতে পারেন, আমি সেভাবেই ভাবলাম … প্রথমেই আমাদের ভাবতে হয়েছিল, কী কী উপায়ে আমাদের কিশোর-তরুণদের চিত্তকে আলোকিত করে বড় জীবনের স্বপ্ন ও আদর্শে উদ্বদ্ধু করে তোলা যায়। আমাদের মনে হয়েছিল দুইটি ব্যাপার এই লক্ষে বড় অবদান রাখতে পারে। ১. তাদের মন-বয়সের উপযোগী শ্রেষ্ঠ ও অনিন্দ্যসুন্দর বইগুলো পড়িয়ে তাদের জীবনকে অনুভূতিময় সুন্দর ও উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন করে তোলা। ২. পড়ার পাশাপাশি সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ভেতর দিয়ে তাদের বড় করে তোলা। আরো পড়ুন: অন্যায় করলে বই পড়ার শাস্তি যে ১০টি কাজে সবচে বেশি বিশ্রাম হয় ঢাকার বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান কার্যালয় তিনি লিখেছেন, ''আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে মাত্র ১০ জন তরুণ ও তাদের জন্য দশটি বই কেনার দাম বাবদ এক ভদ্রলোকের কাজ থেকে পাওয়া ৩৪টি টাকা সম্বল করে শুরু হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যাত্রা। সেই সভ্য সংখ্যা আজ ২৮ লক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে।'' প্রতিষ্ঠানটি ৮ই ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার তাদের ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান করছে। এই পাঠচক্র শুরুর কিছুদিন পরে ইন্দিরা রোডে একটি বাসা ভাড়া করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় মূলত তাঁর শুভানুধ্যায়ী-আত্মীয়-ছাত্ররা সহযোগিতা করতেন। কিছু কিছু সরকারি সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছিল। কয়েক বছর পরে ঢাকার বাংলামোটরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ পায় কেন্দ্র। তখন সেটি আনসারের সদরদপ্তর হিসাবে ব্যবহৃত হতো। এই বাড়িটি বরাদ্দ পাওয়ার পর ইন্দিরা রোডের ভাড়া বাসা ছেড়ে এখানে উঠে আসে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এখানে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করা হয়। এখান থেকে পড়া এবং পাঠচক্রগুলো পরিচালিত হতো। ১৯৮৪ সালে সারা দেশের স্কুল কলেজে বই পড়া ও উৎকর্ষ কর্মসূচি নামের একটি বই পড়া কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এর নিয়ম ছিল - শিক্ষার্থীরা ১৬টি বই নিয়ে পড়ে শেষ করবে এবং ফেরত দেবে। পরে সেসব বইয়ের বিষয় ধরে একটি পরীক্ষা হবে। সেখানে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়দের পুরস্কার হিসাবে দেয়া হবে বই। এ রকম সময়ে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বিতার্কিক ও উপস্থাপক আবদুন নূর তুষার। তিনি লিখেছেন, ''ইন্দিরা রোডের ভাড়া করা বাসা থেকে আজকের বহুতল ভবন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের এই চার দশকের যাত্রা মসৃণ ছিল না। অর্থাভাব ছিল, যথেষ্ট মানুষ ছিল না। ধার করে, প্রায় ভিক্ষা করে স্যার টাকা এনে কেন্দ্র চালাতেন। কিন্তু আমি একবারও তাকে আশা হারাতে দেখিনি।'' ''যখন বই পড়া শুরু হয়, পুরস্কারের বই থেকে মাইক - সব তার দুই দরজার ভঙ্গুর পাবলিকা গাড়ি পেছনে নিয়ে আমরা দুজন যাত্রা করতাম। স্টিয়ারিংয়ে হাত রেখে তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা বলতেন।'' ইন্দিরা রোড থেকে বাংলামোটরে একটি বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করেছিল বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, যেটি বর্তমানে বহুতল ভবন বিবিসি বাংলাকে আবদুন নূর তুষার বলছেন, ''বই পড়া, বই বিতরণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করতাম আমি। তখন আমি কলেজে পড়ি। আমরা যা করতাম - বন্ধুরা মিলে ভাগ করে স্কুলে স্কুলে গিয়ে বই দিতাম, আবার আগের বইগুলো ফেরত নিতাম।'' ''পুরস্কার দেয়ার দিন স্যারের গাড়ির পেছনে পুরস্কারের বই, মাইক ইত্যাদি নিয়ে যেতাম। স্যার নিজেই গাড়ি চালাতেন, আমি তাঁর সঙ্গে যেতাম। স্যারের গাড়িটা মাঝে মাঝে নষ্ট হতো, তখন নেমে সেটা ঠেলতে হতো। তাই কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইতো না।'' ''আবার স্যার খুব আস্তে গাড়ি চালাতেন। তখন আমাদের মধ্যে একটা গল্প চালু ছিল - স্যার গাড়ি চালাচ্ছেন, তখন একটা গাড়ি তাকে অতিক্রম করে গেল, এরপরে একটা অটো অতিক্রম করে গেল, এরপরে একটা রিক্সাও তাকে ছাড়িয়ে গেল। তারপরেই স্যার একটা ট্রাককে অতিক্রম করে ফেললেন, তবে ট্রাকটা থামানো ছিল।'' বাংলামটরের বর্তমান ঠিকানায় তখন ছিল ছোট একটি দোতলা বাড়ি। সেখানে একটি লাইব্রেরি ছিল এবং মিলনায়তন ছিল। সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করে মি. তুষার বলছেন, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তা অনুদানের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। টাকা-পয়সা সংগ্রহে অনেক ঘাটতি ছিল। কেন্দ্রের লোকজন অনেকে কয়েক মাসের বেতন পেতেন না। আবার টাকা জোগাড় হলে তখন সবাইকে একসঙ্গে দিয়ে দেয়া হতো। তবে বই পড়া কর্মসূচিটি খুব জনপ্রিয়তা পায়। এরপরে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী, জাতীয় ভিত্তিক লাইব্রেরি কার্যক্রম, আলোর ইশকুল, ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ইত্যাদি প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্র। তখন দেশি-বিদেশী সহায়তাও আসতে শুরু করে। এখন কেন্দ্রীয় ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিসহ ২,১০০ স্কুল ও কলেজে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে, যার নিয়মিত পাঠক সংখ্যা ২ লক্ষ ১৭ হাজার। আর মোট সদস্য সংখ্যা ২৮ লক্ষ। ঢাকার আজিমপুর-গাজীপুর রুটের ভিআইপি-২৭ পরিবহনের ৬টি বাসে বই পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র: যেভাবে ৪০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এর পথচলা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ঘর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে অনেকে এইচআরডব্লিউ বলছে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের চারপাশের বেড়া অতিসত্বর অপসারণ করা। তবে কক্সবাজারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যন করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, "রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কাঁটাতারের বেড়ার কারণে কীভাবে আটকে পড়েছিলেন, সেসবের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া গেছে।" পাশাপাশি শিবিরে আগুনের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: খাবার, পানি ও আশ্রয় সংকট চরমে মিয়ানমারে কেন ফিরতে ইচ্ছুক নন রোহিঙ্গারা? 'বার্মিজ ক্যাম্পগুলো হবে খোলা আকাশের নিচে রোহিঙ্গা কারাগার' কুতুপালং ক্যাম্পে আগুনের দৃশ্য কী বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ২২শে মার্চে হওয়া অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬১ হেক্টর পরিমাণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায় বলে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলছে, তারা ১৭ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাথে কথা বলেছে, যারা আগুনে তাদের পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, শিবিরের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকার কারণে তাদের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেনি। আগুনে ৫ বছর বয়সী সন্তান হারানো এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলছে, "৯ নম্বর ক্যাম্প থেকে সবাই যখন পালাচ্ছিল, তখন আমি আর আমার স্ত্রী আমাদের ছেলেকে হারিয়ে ফেলি। সবাই ক্যাম্পের প্রধান প্রবেশপথের দিকে যাচ্ছিল, সেটাই ক্যাম্পে যাওয়া-আসার একমাত্র পথ। অন্য সবদিক দিয়েই বেড়া রয়েছে।" "হারিয়ে যাওয়ার পর আমাদের খুঁজতে আমাদের থাকার জায়গায় ফিরে গিয়েছিল আমার ছেলে। সেখানে তার পুড়ে যাওয়া মরদেহ পাই আমরা। বেড়া না থাকলে মানুষ অন্যান্য পথ দিয়েও বের হতে পারতো।" বেড়া থাকায় সাম্প্রতিক আগুনের ঘটনায় বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো মন্তব্য করেছে যে বেড়া থাকার কারণে দমকল বাহিনীর গাড়ি এবং জরুরি সেবা দিতে আসা যানবাহন প্রবেশও ব্যাহত হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, চলাফেরা সীমিত করার প্রয়োজন বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন মেনে কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পের বেড়া তৈরি করা হয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কর্মকর্তা ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, "ক্যাম্পের ভেতরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বেড়ার মধ্যে রেখে শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করা এবং শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতাকে সম্মান করা।" রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের একটি অংশে কাঁটাতারের বেড়া কর্তৃপক্ষ কী বলছে? কাঁটাতারের বেড়া থাকার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আগুনে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে - হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এই ধরণের বক্তব্য আসার কোনো কারণ নেই। বেড়ার কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে, এমন ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।" ক্যাম্পের পরিধি এবং আগুনের ব্যাপকতার বিষয়ে উল্লেখ করে মি. শামছু-দ্দৌজা বলেন, "বিস্তৃত জায়গা জুড়ে কত মারাত্মক আগুন লাগলো তা আপনারা দেখেছেন। সেই হিসেব করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম ছিল। কারণ আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চমৎকারভাবে, অত্যন্ত দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে।" বেড়া থাকার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে - এমন দাবিও সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন মি. শামছু-দ্দৌজা। তিনি বলেন, "অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উদ্ধারকাজ সফলভাবে পরিচালনা করা গেছে বলেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় শরণার্থী শিবিরে আগুন লেগেছে। সেগুলোর সাথে আমাদের এখানকার ঘটনার ক্ষয়ক্ষতির পার্থক্য তুলনা করে দেখুন।" জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাসহ বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসেব অনুযায়ী আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছেন, তবে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১১ জন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে বলছে, চারশোর মত মানুষ সেখানে নিখোঁজ আছে এখনো। পুড়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি ঘর। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করছে তারা। অবশ্য এসব তথ্যও নিশ্চিত করেনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। কয়েক ঘণ্টা ধরে এ আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর। স্থানীয়রা কী বলছেন? বেড়া থাকার কারণে আটকে পড়ে কারো মৃত্যু হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের কয়েকজন ব্যক্তি জানান আগুন থেকে বাঁচতে বেড়া টপকে পালানোর সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বালুখালী ক্যাম্পের মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, "বালুখালী ক্যাম্পে প্রবেশের একটাই বড় রাস্তা। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মূল প্রবেশপথ দিয়ে বের হতে পারেনি। সেসময় তারা কাঁটাতারের বেড়া বেয়ে বা কেটে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তখন কয়েকজন কিছুটা আহত হয়।" একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ বাতেন জানান, "কাঁটাতারের বেড়া না থাকলে তাড়াতাড়ি, সহজে বের হওয়া যাইতো। আহত হতো আরো কম মানুষ।" তবে বেড়া থাকার কারণে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হয়েছে বা আগুন নেভানোর কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন না তারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: কাঁটাতারের বেড়ার কারণে বেশি হতাহত হয়েছে দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের, কর্তৃপক্ষের প্রত্যাখ্যান
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এর আগে জানানো হয়েছিল, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন যে, এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমানের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সমন্বয়কৃত মূল্যায়ন করে একটি গ্রেড নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি জানিয়েছিলেন, এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অধ্যাদেশ জারি নয় বরং আইনের সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আইন সংশোধনীতের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এই নিয়ে কোন অধ্যাদেশ জারি হবে না। ১৮ই জানুয়ারি সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলে সেখানে উপস্থাপন এবং পাশের পর ফল প্রকাশ করা হবে। "পার্লামেন্টে এটা প্রথম দিন উত্থাপন করে , দুই তিন দিনের মধ্যে আইন করে তারপর যাতে ২৫-২৬ তারিখে ম্যাক্সিমাম ২৮ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া যায়", বলছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নতুন সংশোধনীর ফলে দুর্যোগকালীন সময়ে পরীক্ষা নিতে সক্ষম না হলে, মূল্যায়ন বা ফলাফল দেয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। ১৭টি শিক্ষা বোর্ডের ২০২০ সালে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা ছাড়া পাসের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠিয়ে হয়রানির মুখে শিক্ষার্থী
উচ্চ মাধ্যমিক: পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসির ফল দিতে আইনের সংশোধন হচ্ছে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আয়না নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্রচলিত আছে বিভিন্ন রকম ধারণা কোথাও এ বস্তু সৌভাগ্যের প্রতীক, কোথাও তা আবার বয়ে আনে দুর্ভাগ্য। আয়না নিয়ে পৃথিবীর দেশে-দেশে গল্প-গাঁথা ও রহস্যের যেন আদি-অন্ত নেই। সেরকম কিছু কাহিনী আজ এখানে তুলে ধরা হলো বিবিসি বাংলার পাঠকদের জন্য। ভবিষ্যতের আভাস প্রাচীন গ্রীসে ডাইনিরা আয়না ব্যবহার করতো। খ্রিষ্টের জন্মরে প্রায় তিনশ বছর আগের সেসব প্রাচীন গাঁথায় বলা আছে, ডাইনিরা নিজেদের দৈবাদেশ ও বাণীগুলো লিখে রাখতো আয়নার মাধ্যমে। প্রাচীন রোমেও আয়নার প্রচলন ছিল। সেখানে ধর্মগুরুরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বর্ণনা করার জন্যে দর্পণ ব্যাবহার করতেন। আরো পড়তে পারেন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের একুশের বইমেলায় ভিন্নমতের বই কতটা বেরুচ্ছে? ইলিয়াস কাঞ্চন: জীবন যখন উপন্যাসের মতই ট্র্যাজিক তেজকাটলিপোকা'র মুখোশ - যেটিকে 'স্মোকিং মিরর' বলা হতো অন্য ভুবনের সংযোগ সাঁকো বর্তমানে আয়না তৈরিতে এলুমিনিয়ামের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রাচীন মিসরীয়রা ব্যবহার কতো তাম্র চূর্ণ। তামার সাথে দেবী 'হাথোর' এর সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করতো মিসরীয়রা। হাথোর ছিলেন সৌন্দর্য, প্রেম, কাম, সমৃদ্ধি ও জাদুর দেবী। প্রাচীন অ্যাজটেকরা আয়না বানানোতে ব্যাবহার করতো অবসেডিয়ান যা মূলত কাচের মতন দেখতে একজাতীয় কালো আগ্নেয়শিলা। অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতো তারা দেবতা 'তেজকেটলিপোকা'র সাথে সম্পৃক্ত। রাত্রি, সময় ও বংশ পরিক্রমায় পাওয়া স্মৃতির দেবতা ছিলেন এই তেজকাটলিপোকা। স্বর্গলোক থেকে এই মাটির পৃথিবীতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিধর এই দেবতা আয়নাকে তার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। সুদূরের মিত্ররা প্রাচীন চীনে চাঁদের স্বর্গীয় শক্তি ধরে রাখার জন্য আয়না ব্যবহারের চল ছিল প্রাচীন চীনে চাঁদের স্বর্গীয় শক্তি ধরে রাখার জন্য আয়না ব্যবহারের চল ছিল। কথিত আছে, চীনের এক সম্রাট জাদুকরী এক আয়না বসিয়েই নিজের সাফল্য পেয়েছিলেন। আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে, ২৫ খ্রিষ্টাব্দে চীনের সম্রাট কিন শি হুয়াং দাবী করেছিলেন আয়নার দিকে তাকানো মানুষের মুখে তাকিয়ে তিনি তাদের আসল চিন্তা-ভাবনা ও মনের খবর পড়তে পারতেন। জার্মানদের স্নো হোয়াইট রূপকথায় কথা বলা এক আয়নার কথা আছে যেই আয়না সবসময় সত্য কথা বলতো রুপকথার কথক জার্মানদের স্নো হোয়াইট রূপকথায় কথা বলা এক আয়নার কথা আছে। সেই আয়না সবসময় সত্য কথা বলতো। জার্মানির বাভারিয়া অঞ্চলের লোর এলাকার জনগণ একসময় বিশ্বাস করতো যে, আয়না সর্বদা সত্য কথা বলে। ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক! আয়না নিয়ে বহু কুসংস্কার রয়েছে। আয়না ভেঙে ফেললে সাত বছরের জন্য দু:খের দিন শুরু হয় বলেও মনে করতো অনেকে। প্রাচীন রোমানরা মনে করতো মানুষের সাতটা করে জন্ম থাকে। আর কেউ যদি কোনো জন্মে একটা আয়না ভেঙে ফেলে তবে আয়নার ভাঙা টুকরোগুলোর ভেতরে সেই ব্যক্তির আত্মা আটকা পড়ে যায়। আবার পুনর্জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তির মুক্তি ঘটে না বলেই মনে করতো রোমানরা। তবে, ভাঙা কাচের সকল টুকরো জড়ো করে যদি মাটির নিচে পুঁতে ফেলা যেতো বা খরস্রোতা নদীর বুকে ফেলে দেয়া যেতো তবে আর দুর্ভাগ্য থাকতো না বলেও মনে করা হতো। তবে, আয়না ভেঙে ফেলাকে পাকিস্তানে দুর্ভাগ্য নয় বরং সৌভাগ্য বা ইতিবাচক ঘটনার ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। অর্থাৎ আয়না ভেঙে গেলে কোনো একটা অশুভ শক্তি গৃহ ছেড়ে যাচ্ছে বা শুভ কিছুর সূচনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়। ভাঙা আয়নাকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয় আর অভিনেতারা তো আয়না নিয়ে রীতিমতো কুসংস্কারে আক্রান্ত। কোনো অভিনেতা যদি আয়নার সামনে নিজে সাজ-পোশাক পড়তে থাকে আর তার ঘাড়ের উপর দিয়ে যদি অন্য কেউ উঁকি দিয়ে দেখে তবে সেটিকে একটা খারাপ কিছু বা মন্দ ভাগ্যের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়। তাছাড়া মঞ্চের উপর আয়না রাখার ক্ষেত্রেও নাট্যকর্মীদের একটা প্রবল অনীহা রয়েছে। একে তো বস্তুটা ভঙ্গুর। তার উপরে সেটি আবার বাতির সমস্ত আলো প্রতিফলন করে। পর্দা টেনে দেওয়ার প্রথা সেই ভিক্টোরিয়ান যুগের ব্রিটেনে বিশ্বাস করা হতো যে, মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য শুরু হবার সময় সেই বাড়িতে থাকা সকল আয়না পর্দা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কারণ তখন মনে করা হতো যে, পর্দা দিয়ে আয়নাগুলো সব ঢেকে না দিলে মৃত ব্যক্তির আত্মাটা কোনো আয়নার ভেতরে ঢুকে আটকা পড়ে যেতে পারে। আয়না 'আত্মার' প্রতিফলন ঘটা য় বলেও ধারণা করা হতো প্রেতসাধনার উপাদান আয়না নিয়ে 'ব্লাডি মেরি' নামের একটি খেলার কথা পুরোনো ডাকিনীবিদ্যা বিষয়ক লেখায় পাওয়া যায়। কখনো খেলেছেন এই খেলা? এটি খুবই ভয়-ধরানো। বুকের পাটা না থাকলে এই খেলার নামটাও নেয়া ঠিক না। কোনো এক গভীর অন্ধকার রাতে, হাতে একটা মোমবাতি নিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে আপনি তিনবার বলবেন 'ব্লাডি মেরি।' নির্দিষ্ট কিছু আচারও পালন করবেন। তারপর চোখ বন্ধ করবেন। এভাবেই ডাকা হয় 'ব্লাডি মেরি'কে যখন চোখ খুলবেন তখন বুঝবেন যে ঠিক আপনার পেছনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ব্লাডি মেরি। মনের এই ট্রিকটা বা ট্রিকের ধাক্কাটা নিতে পারলে, ব্লাডি মেরিকে দেখে চিৎকার দিয়ে আপনি হয়তো ওখানেই অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। বলা হয়ে থাকে, আয়না কখনো মিথ্যা কথা বলে না তীক্ষ্ম স্মৃতি প্রাচীন কিছু সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হতো যে, আয়নার মধ্যে মানুষের আত্মা বা মানুষের ভেতরের প্রকৃত সত্ত্বার ছায়া পড়ে। এ ধারণাটি হয়তো এই বিশ্বাস থেকে এসেছে যে, ভ্যাম্পায়ার বা মানুষরূপী রাক্ষসদের আত্মা নেই। আর তাই তাদের কোনো ছায়া পড়ে না। অতএব, আপনি যখন আজকে আবার আয়নার নিজের দিকে তাকাবেন একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন তো, সেখানে কার ছায়া পড়েছে? যাকে দেখা যাচ্ছে, সে সত্যিকারের আপনিই তো?
আয়না নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যত অদ্ভুত ধারণা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ তবে বিশ্ব পরিস্থিতি দেখে যা অনুমান করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তা হলো কিছুদিন পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসতে পারে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ আজ উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি এসব কথা বলেন নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে। তিনি জানান তিনি নিজেও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। তবে বেশ কিছুদিন আগে তিনি ফিরে আসেন দপ্তরে এবং কাজ শুরু করেন বলে জানান। মি. আজাদ বলেন, টেস্ট বাড়ালে মৃদু ও সুপ্ত করোনাভাইরাস বের হয়ে আসবে, সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা যে কমেছে সেটা বোঝা যাবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হবে না বলছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। "এটি দুই থেকে তিন বছর ধরে চলতে পারে. যদিও সংক্রমণের মাত্রা একই হারে নাও থাকতে পারে।" বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ও পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং এখন পর্যন্ত কী কী করা হয়েছে তার একটা তালিকা তুলে ধরেন মি. আজাদ: সরকারি ও বেসরকারি খাত যাতে যৌথভাবে এই দায়িত্ব পালন করে সেটার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন মি.আজাদ। উচ্চ রক্তচাপ ডায়বেটিস ও শ্বাসকষ্ট আছে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি বলে তাদের আলাদাভাবে সাবধান থাকার কথা বলেন তিনি। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বাংলাদেশ ও বিশ্বের করোনাভাইরাস আপডেট: বাংলাদেশের গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৮০৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালো। বর্তমানে শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জনে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪৩ জনে। দেশের ৫৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯৭৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন। বিশ্বে এখন ৮৩ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী আছে। মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে সংক্রমণ 'দুই থেকে তিন বছর ধরে চলতে পারে', বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
দুর্ঘটনার পর রেলরাইনের পাশে হতভম্ব লোকজন অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার শুধাংশু শেখর বিবিসিকে বলেছেন, আরো কমপক্ষে একশ মানুষ আহত হয়েছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬০ জনের মতো ভর্তি হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক রভিন্দর সিং রবীন বলছেন, অমৃতসর শহরের জোরা ফটকের কাছে দশেরা উৎসবে রাবণের কুশপুতুল জ্বালানোর সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে যখন বহু মানুষ দশেরা উৎসব দেখছিলেন, সেই সময়েই ট্রেন সেখানে এসে পড়ে। দুর্ঘটনার পর নিহত আহতদের ঘিরে মানুষের ভীড় মি সিং জানান, কুশপুতুলে আগুন দেওয়ার সময়ে মাইকে ঘোষণা করা হয়, দর্শকরা যেন পিছন দিকে সরে যান। সেই কথা মতো মানুষ পিছনের একটা রেললাইনের ওপরে চলে গিয়েছিল, তখনই সেখান দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলে যায়। ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ এদিক ওদিক ছিটকে পড়েন। যেসব ছবি স্থানীয় সাংবাদিকরা পাঠিয়েছেন, তা ভয়াবহ। শরীরের নানা অংশ রেল লাইনের আশেপাশে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, "প্রচুর বাজি ফোটনোর শব্দ হচ্ছিলো, ফলে ট্রেন আসার শব্দ মানুষ শুনতে পায়নি।" দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা রাবন-দহনের সময়ে বহু মানুষ সেটার ভিডিও করছিলেন মোবাইল ফোনে। এরকমই একটি ভিডিও বিবিসি-র হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাবণের কুশপুতুলে আগুন দেওয়া হয়েছে, আর তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি ট্রেন বেশ দ্রুতগতিতে চলে গেল। ওই ট্রেনটি পাঠানকোটের দিক থেকে আসছিল বলে জানা গেছে। রেল লাইনের পাশে এই মাঠেই হচ্ছিল রাবন পোড়ানোর অনুষ্ঠান স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলি প্রত্যক্ষদর্শীদের যে বয়ান দেখাচ্ছে, সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে যে প্রতি বছরই এই জায়গায় রাবণ পোড়োনো হয় কিন্তু ওই সময়টায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে, বা অতি ধীরে ট্রেন যায়। কিন্তু এবারে ট্রেনটি দ্রুতগতিতে চলে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী অমিত কুমার বিবিসিকে জানিয়েছেন, "বহু মানুষ রেল লাইনের ওপরেই ভীড় করে দাঁড়িয়েছিলাম প্রতি বছরের মতোই। রাবন দহন দেখছিলাম, হঠাৎ করেই জোরে ট্রেনটা এসে পড়ল লোকের ওপর দিয়ে চলে গেল। কোনও হর্ণ বাজায় নি, ট্রেনের গতিও কমায় নি একটুও। বন্ধুদের সঙ্গে রাবণ দহন দেখতে জোড়া ফটকে গিয়েছিলেন রবি। বিবিসিকে তিনি বলেন, তার এক বন্ধুকে দুর্ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। "এত জোরে ট্রেনটা চলে এল, মানুষ সরে যাওয়ার সময়ই পায় নি। হর্ণও দেয় নি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি অমৃতসরে পৌঁছচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে উদ্ধার কাজ তদারকি করতে। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে চলন্ত ট্রেনের নীচে পড়ে অন্তত ৬২ জন নিহত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কোস্টারিকার সাথে খেলা শেষে কান্না কোস্টারিকার সাথে শুক্রবার রাতে খেলায় দারুণ খেলেছেন বিশ্বের দামী খেলোয়াড় নেইমার। ইনজুরি টাইমে গোলও পেয়েছেন। কুটিনিও আর নেইমারের গোলে কোস্টারিকা তখন পরাস্ত ২-০ গোলে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কমই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পরিবর্তে বরং আলোচনা হচ্ছে তার পড়ে যাওয়া, নাটক করা কিংবা শেষ বাঁশির পর কান্নার ঘটনাগুলো। কিন্তু এটি সত্যি পছন্দ করুন বা অপছন্দ করুন, এ মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই খেলোয়াড়টিই এখন মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তু। নেইমারের ডাইভ আর কান্না নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ইন্টারনেটে ইনজুরি টাইমের কৌশল ডগলাস কোস্তার ক্রস থেকে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার কিন্তু ম্যাচের তখন ৯৭ মিনিট। এ নিয়ে দেশের পক্ষে ৮৭ ম্যাচে ৫৬ গোল করেছেন তিনি। এখন পেলে আর রোনালদোই রয়েছেন কেবল তার সামনে। কিন্তু তারপরেও বিবিসি স্পোর্টস দেখেছেন যারা তাদের বিবেচনায় নেইমারই কম রেটেড খেলোয়াড়। সম্ভবত এর কারণ আগের ঘটনাগুলো। আরো পড়তে পারেন: শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির আঁচ নেইমারের কান্না নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া কি সেই ঘটনাগুলো? ম্যাচের তখন ৭৮ মিনিট। কোস্টারিকার ডি বক্সে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গঞ্জালেজের সাথে তার কোন সংঘর্ষ হয়নি, কিন্তু নেইমার এমনভাবে পড়ে গেলেন যে মনে হলো বিরাট কিছু একটা হয়েছে। রেফারিও বুঝতে পারেননি যে এটি ছিলো নেইমারের অভিনয় মাত্র, ফলে বাঁশিও বাজালেন তিনি। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ আসলো কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। ফলে ভিএআরের সহায়তা নিলেন রেফারি। আর রিপ্লেতে দেখা গেলো রীতিমত নাটক করেই পড়ে গেছেন নেইমার, বাতিল হয়ে গেলো পেনাল্টির সুযোগ। এ নিয়ে মূহুর্তেই ইন্টারনেট দুনিয়া সরগরম হয়ে ওঠে। আর খেলার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো ছয় মিনিট কিন্তু নেইমার তার গোল করলেন ৯৭ তম মিনিটে। কস্তার পাস থেকে বল পেয়ে কোস্টারিকার গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেন তিনি। কান্না নিয়ে আরও একটি টুইট প্রকাশ্যে আবেগের প্রদর্শনী খেলা শেষের বাঁশি বাজালেন রেফারি। ব্রাজিল জিতেছে ২-০ গোলে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সমর্থক সবাই উল্লাস করছে। ঠিক সেই সময় নেইমারকে পাওয়া গেলো ভিন্ন দৃশ্যে। হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে দু হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছেন তিনি। অথচ এটি বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়, ছিলো মাত্র গ্রুপ পর্যায়ের খেলা। পরে অবশ্য ইন্সটগ্রামে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "কান্না ছিলো আনন্দের ও জয় পাওয়ার কারণে।"
রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮: নেইমারের ডাইভ, ফ্লিক কিংবা কান্না নিয়ে এতো কথা হচ্ছে কেন?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সৌরভ গাঙ্গুলি। সোমবার, মুম্বাইতে গত মধ্যরাতের পর মুম্বাইতে বোর্ডের বৈঠকে টানটান উত্তেজনা ও নাটকীয়তার মধ্যে তার নাম এই পদের জন্য চূড়ান্ত হয় - এবং আজ সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সৌরভই একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ওই পদের জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির হয়ে ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রচার করবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই কি সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ পেলেন? এদিন সৌরভ নিজে অবশ্য এই ধরনের জল্পনা সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু তার পরেও এই ইস্যুতে চর্চা থামছে না। রবিবার রাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করার জন্য মুম্বাইতে যে বৈঠক বসেছিল, ঠিক তার চব্বিশ ঘন্টা আগেই দিল্লিতে ভারতের অত্যন্ত প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ-র সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে আসছেন সৌরভ। সঙ্গে সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন এদিন বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে তার নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর সৌরভ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভারতীয় বোর্ডে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনাই হবে তার অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, "গত তিন বছর ধরে বোর্ডে যা ঘটেছে সেটা ছিল কার্যত একটা জরুরি অবস্থার মতো।" "ফলে এখন বোর্ডের জন্য একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় - আর সেখানে আমার টিমকে নিয়ে আমি চেষ্টা করব একটা পরিবর্তন আনতে, যাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক করে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের পুরনো চেহারা ফিরিয়ে দিতে পারি।" বলেন মি. গাঙ্গুলি। বোর্ডে সৌরভ গাঙ্গুলির টিমে অন্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে আছেন সচিব জেয় শাহ, যিনি বিজেপি নেতা অমিত শাহর ছেলে। কোষাধ্যক্ষর পদ পেয়েছেন অরুণ ধুমল, যার বড়ভাই অনুরাগ ঠাকুর বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বাবাও ছিলেন হিমাচলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নেতা অমিত শাহর ছেলে জেয় শাহ, ভারতীয় বোর্ডের নতুন সচিব বস্তুত নতুন বিসিসিআই নেতৃত্বে শাসক দল বিজেপির প্রাধান্য এতটাই স্পষ্ট, যে সৌরভ গাঙ্গুলিকেও কার্যত তার দায় নিতে হচ্ছে। ভারতের ক্রিকেট সাংবাদিক বিক্রান্ত সিং বিবিসিকে বলছিলেন, "এই টিম তৈরিতে সরকারের, বিশেষ করে অমিত শাহ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে একটা বড় ভূমিকা ছিল সেই সিগনেচার কিন্তু স্পষ্ট।" "আর এই কারণেই প্রশ্নটা উঠছে যে প্রেসিডেন্ট পদের বিনিময়ে বিজেপির সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলির কোনও রফা হয়েছে কি না।" "মনে রাখতে হবে, অমিত শাহর ছেলে জেয় শাহ কিন্তু নিজেই বোর্ডের নতুন সচিব হয়েছেন।" সৌরভ নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, রফা তো দূরস্থান - তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ নিজে থেকে চানওনি, কারও সঙ্গে এ নিয়ে কোনও কথাও বলেননি। "বস্তুত গত রাত সাড়ে দশটা অবধি আমি জানতামই না যে জে শাহ-অরুণ ধুমলদের টিম নিয়ে আমাকেই বোর্ড প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে হবে", বলেছেন তিনি। এরপরও ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে, বিশেষ করে বাংলা খবরের কাগজগুলোতে লেখা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-র নির্বাচনে বিজেপির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হবেন কিংবা তাদের হয়ে প্রচার করবেন - সৌরভের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতিই চেয়েছিল বিজেপি। সেটা সত্যি হোক বা মিথ্যে, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাকে টুইটারে প্রথম যারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যেই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই টুইট দেখার পর সৌরভ অবশ্য তাকেও পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তিনি নিজে যে মুখ্যমন্ত্রী 'মমতাদিদি'র ঘনিষ্ঠ সেটাও জানাতে ভোলেননি। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, পরবর্তী বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম চূড়ান্ত হয়ে গেলেও সৌরভ গাঙ্গুলি কিন্তু এখনই খোলসা করতে চাইছেন না যে ভবিষ্যতে তার রাজনীতির গতিপথ কী হতে পারে।
ক্রিকেট: সৌরভ গাঙ্গুলি কি বিজেপিকে মুচলেকা দিয়ে ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি হলেন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মারিসা মুজেল একটি কন্যা সন্তান উপহার দিয়েছেন মাদ্রিদের সমকামী দম্পতি জেসাস আর জুলিও-কে তার আরো কিছু গর্ভকালীন সমস্যা ছিল - যার জন্য তাকে দুবার হাসপাতালে থাকতে হয়, প্রতি মাসে হর্মোন ইনজেকশন নিতে হয়। কারণ এর আগে তার চার বার গর্ভপাত হয়েছিল। তিনি এ কষ্ট সহ্য করেছেন এমন এক শিশুর জন্ম দেবার জন্য - যে তার নিজের সন্তান নয়। এই সন্তানটির অভিভাবক হবেন স্পেনের একটি পুরুষ সমকামী দম্পতি। এই দম্পতির একজন পুরুষের শুক্রাণু এবং এবং একজন দাতা নারীর ডিম্বাণু থেকে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়েছে। ৩২ বছর বয়স্ক মারিসা কানাডায় একজন সারোগেট মা । এখানে শত শত এরকম নারী আছেন যারা আত্মীয় নন এমন লোকেদের সন্তান জন্মের জন্য নিজের গর্ভ ব্যবহার করতে দেন। "আমি অন্য কারও জন্য পরিবার গড়ে দিচ্ছি" বলছেন মারিসা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রোনাল্ডো অবশেষে জানালেন তিনি বাবা হয়েছেন ভারতে কিভাবে চলছে গর্ভ ভাড়ার ব্যবসা শাহরুখ-আমিরদের মতো সারোগেসি বন্ধ হচ্ছে ভারতে মারিসার কোলে কন্যাশিশু: সমকামী পুরুষ দম্পতির একজনের শুক্রাণু এবং এবং একজন দাতা নারীর ডিম্বাণু থেকে তার জন্ম বিশ্বে এখন সারোগেট মা, বিশেষ করে কানাডিয়ান মায়ের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। যারা এভাবে সন্তান চাইছেন - তাদের অনেকের গন্তব্য এখন কানাডা। প্রগতিমুখী এই দেশটিতে গত এক দশকে সারোগেট মায়ের সংখ্যা ৪০০ গুণ বেড়েছে। তবে এখানে যে নারীরা সারোগেট মা হন - তারা এ থেকে কোন অর্থনৈতিক লাভ করতে পারেন না। তা ছাড়া কানাডার আইন এমন যে - কানাডায় অনেক সহজে সারোগেট শিশুদের আইনী অভিভাবকত্ব পাওয়া যায়, এবং সমকামী দম্পতি বা একজন নারী বা একজন পুরুষও এই সুযোগ পেতে পারেন। যেসব দেশে বাণিজ্যিকভাবে গর্ভ-ভাড়া দেয়া হয় - সেখানকার চাইতে কানাডার খরচও কম। "আমি দেখেছি অনেক আমেরিকান সারোগেট মা আছে যাদেরকে গর্ভবতী হবার সাথে সাথেই হাজার হাজার ডলার দিতে হয়। কানাডায় আমরা এরকম করি না" - বলছেন মারিসা। কানাডায় সারোগেট মায়েরা শুধু গর্ভাবস্থা-সংক্রান্ত খরচ মেটানোর অর্থ পান - কিন্তু তার একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে। এর মধ্যে ওষুধপত্র, কাপড়চোপড়, বাজার-সওদা, যাতায়াত ইত্যাদি খরচ থাকে। তা ছাড়া কেউ যদি কাজে যেতে না পারেন, তাহলে তার হারানো বেতনও তিনি পেতে পারেন। কানাডায় এখন সারোগেট মায়ের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিটি খরচের জন্য তাকে দলিলপত্র দিতে হয়। "এটা এমন কোন আয় নয় যা থেকে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন । আমার সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র নই। আপনি এ কাজ করছেন মমত্ববোধ থেকে, চাকরি হিসেবে নয়" - বলছিলেন মারিসা, যিনি পেশায় একজন যুব কর্মী। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন যে সারোগেট মা বিষয়টা আধুনিককালের একটা জিনিস। কিন্তু আসলে তা নয়। এক দম্পতির সন্তান ধারণের জন্য অন্য এক মহিলাকে ব্যবহার করা - প্রাচীন ব্যাবিলনেও ছিল। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি একেবারে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তাহলো: সারোগেট মা কখনো তার নিজের ডিম্বাণু থেকে সৃষ্ট শিশু ধারণ করেন না। ডিম্বাণু আসে অন্য এক নারীর দেহ থেকে। অভিভাবক হতে ইচ্ছুক পুরুষের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর নিষিক্তকরণ ঘটে ল্যাবরেটরিতে । আর সেই নিষিক্ত ভ্রুণটি স্থাপন করা হয় সারোগেট মহিলার জরায়ুতে। কানাডায় সারোগেট মায়েদের ক্লাব আছে, যেখানে তারা একসাথে হতে পারেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন। কানাডায় সারোগেট মায়েদের ক্লাব আছে, যেখানে তারা একসাথে হতে পারেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন। ধারণা করা হয় যে কানাডায় আছেন কমপক্ষে ৯০০ সক্রিয় সারোগেট মা। একটি সারোগেসি এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা লেইয়া সোয়ানবার্গ বলছেন, এগারো বছর আগে এই কোম্পানি শুরুর সময় আমাদের ৮টি শিশুর জন্ম হয়। এখন শুধু গত এক মাসেই আমরা ৩০টি শিশুর জন্ম দিয়েছি। এটা অনেকটা অনলাইন ডেটিংএর মত। সারোগেট মায়েরা নিজস্ব প্রোফাইল জমা দেন। অভিভাবক হতে ইচ্ছুক যারা তারাও প্রোফাইল পাঠান। তার পর পরস্পরের যোগাযোগ এবং পছন্দের ভিত্তিতে ব্যাপারটা চূড়ান্ত হয়। শিশুর জন্মকে কেন্দ্র করে তারা অচেনা লোক হিসেবে শুরু করেন - কিন্তু পরে পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠেন । অনেক সারোগেট মা'র সাথে শিশুর অভিভাবকদের স্থায়ী বন্ধুত্ব হয়ে যায় তবে এ পথ কঠিন। অনেক সময় একাধিকবার আইভিএফ করাতে হয়, গর্ভপাতও ঘটে প্রায়ই। এর অনেক সমালোচকও আছেন। অনেকে একে নারীর শোষণ এবং বেশ্যাবৃত্তির সাথে তুলনা করেছেন, এটা নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছেন। কিন্তু কানাডায় যেহেতু এটা থেকে সারোগেট মা অর্থ আয় করতে পারেন না - তাই এ সমালোচনাকে সঠিক মনে করেন না এর সমর্থকরা। সারোগিট মা হওয়া সহজ কাজ নন। অনেককে ১২ সপ্তাহ ধরে হরমোন ইনজেকশন নিতে হয়। সারোগেট মায়েদের শুধু গর্ভধারণের খরচটাই দেয়া হয়। এর সাথে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি, ডাক্তার, আইনজীবী ও ক্লিনিক - তারা তাদের ফি পান। এই খরচ কম নয়। এতে একজন সন্তানকামী দম্পতির ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত লাগতে পারে। এতে কোন ক্ষতিপূরণ দেয়াও নিষিদ্ধ। সারোগেট মা-কে এমন কি ফুল পাঠালেও তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন আইন ভাঙা হলে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং দশ বছরের কারাদন্ড হতে পারে। অবশ্য এসব আইন শিথিল করার দাবিও তুলছেন অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো : তাহলে সারোগেট মায়েরা গর্ভে অন্যের সন্তান ধারণ করে তাহলে কি পান? অনেকে এটা করেন সন্তান পেতে অক্ষম কোন পরিবারকে সাহায্য করার মানসিকতা থেকে। কারো কাছে এটা এক ধরণের এ্যাকটিভিজম - তারা এলজিবিটি অর্থাৎ পুরুষ ও নারী সমকামী, উভকামী, এবং লিঙ্গপরিবর্তনকারীরা যাতে সন্তান পেতে পারে সে জন্য কাজ করছেন বলে মনে করেন। এরা মনে করেন, সারোগেট মা হওয়া এবং কোন অভিভাবককে সন্তান উপহার দিতে পারা একটা গর্বের বিষয়।
সারোগেসি: কানাডায় নারীরা অন্যের বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন - তাও আবার বিনে পয়সায়, কেন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্টে কতটা প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের বুথ বা হাসপাতালে নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান ফি ২০০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার ফি ৩০০ টাকা করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২৯শে জুন জারি করা একটি পরিপত্রে সরকার জানিয়েছিল, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করে এবং বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। বিনামূল্যে পরীক্ষা থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে সেই সময় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা তখন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, এর ফলে লক্ষণ থাকার পরেও অনেকে টেস্ট করাতে নিরুৎসাহিত হবেন। তবে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি আগের মতোই সাড়ে ৩ হাজার টাকা থাকছে। বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরো এক হাজার টাকা দিতে হয়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফ্রিংয়ে লক্ষণ থাকলে পরীক্ষা করানোর জন্য আহবানও জানানো হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনা ভাইরাস: কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি কমালো বাংলাদেশের সরকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
রুশিদা হকের ১৫ বছর বয়সী ছেলে দুটি পা হারিয়েছে। তাঁর ভাষায় 'এমনভাবে বেঁচে থাকার দরকার কী ছিল?' ১৫ বছর বয়সী মিয়ানমারের এক কিশোরের চিকিৎসা চলছে বাংলাদেশের এক হাসপাতালে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে দুটো পা হারিয়েছে এই কিশোর । একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরেক নারী, যিনি জানিয়েছেন সীমান্তে গুলি খাওয়ার পর মাইনের ওপর আছড়ে পড়েন তিনি। নব্বইয়ের দশকে ওই এলাকায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নিষিদ্ধ এ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন পুঁতেছে বলে অভিযোগ তুলে বাংলাদেশি বিভিন্ন সূত্র এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। যদিও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন সোমবার বলেছেন, 'মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর-নির্মম অভিযান চলছে'। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন যে সেখানে যে হামলা চালানো হচ্ছে তা পাঠ্য বইয়ের জন্য 'জাতিগত নিধন' এর একটি অন্যতম উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আহত রোহিঙ্গাদের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে, একটি হাসপাতালে ঘুরের বিবিসির রিতা চক্রবর্তী দেখেছেন বেশিরভাগই সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। অনেকের দেহের নানা জায়গায়, কেউ হাত আবার কেউবা পা হারিয়েছেন। ১৫ বছর বয়সী আজিজু হক, তার দুই পা হারিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, সাথে আছে তার মা। আজিজুর ভাইও অন্যএক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, তারও একই অবস্থা-জানালেন তাদের মা রুশিদা হক। "তাদের দেহের ক্ষত এতটাই যে আমার কাছে সেটা মৃত মানুষের মতোই। ওপরওয়ালা যদি তাদের নিয়ে যেত তাহলে ভালো হতো। ছেলেগুলো আমার অনেক কষ্ট করছে" বিবিসিকে বলেন রুশিদা হক। বিস্ফোরণে আজিজু হকের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে, দুটো পা নেই,এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। আজিজুকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে ডাক্তাররা। কিন্তু তাকে বাঁচানোর আশা ক্ষীণ বলে জানা যাচ্ছে। কারণ আজিজুরের রক্তের গ্রুপ বিরল, ওই গ্রুপের রক্ত কোনো ব্লাড ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কদিন রক্তদাতা পাওয়া গেলেও এখন আর কোনো দাতারও সন্ধান মিলছে না। অন্যদিকে আহত আরেক নারী সাবেকুর নাহার বিবিসিকে বলেন, মিয়ানমারে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর তিন ছেলেকে নিয়ে নিজ গ্রাম থেকে পালান তিনি। যখন সীমান্ত পার হচ্ছিলেন তখনই গুলির আঘাতে মাইনের ওপর পড়ে যান। আমাদের গুলি ছুঁড়লো,এবং তারা মাইনও পুঁতে রেখেছিল সেটার ওপর পড়লাম" বলেন ৫০ বছর বয়সী সাবেকুর নাহার। ছোটখাট দেখতে সাবেকুরের দেহেও নানা ক্ষত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো কে জ্বালিয়ে দিচ্ছে?
রোহিঙ্গা সংকট: 'সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন পঙ্গু করে দিচ্ছে' মানুষকে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মনে করুন ভালো খবরের কথাও কিন্তু বছরটির সব খবর নি:সন্দেহে খারাপ ছিল না। যুদ্ধ, সন্ত্রাসী হামলা, নির্বাচনী অনিয়ম, বিমান দুর্ঘটনা, জলবায়ু সংকট, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, আগ্নেয়গিরি কিংবা বিস্ফোরণ—এমন সংবাদ খারাপ খবরের মধ্যে কিছু ভালো খবরও ছিলো। বিশ্বাস হচ্ছেনা, তাই তো? তাহলে নীচের তালিকাটি দেখুন। মৃত্যু থেকে ফিরে আসা বিশাল কচ্ছপ বিশালাকৃতির কচ্ছপ বা কাছিম। একশ বছর আগে এটি হারিয়ে গিয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। সেটিকেই পাওয়া গেলো ইকুয়েডর উপকূল থেকে এক হাজার কিলোমিটার দুরে প্রশান্ত মহাসাগরের গ্যালাপাগোজ দ্বীপে। এই প্রজাতির কচ্ছপ সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯০৬ সালে। তার বয়স একশ বছর কিন্তু সম্ভবত তার প্রজাতির জীবিতদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা তার আরও কিছু স্বজন আছে আশেপাশেই। সামুদ্রিক কচ্ছপের জন্য এটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত প্রজাতি ঘোষণার পর থেকে সামুদ্রিক কচ্ছপের সংখ্যা বেড়েছে ৯৮০%। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফজলে হাসান আবেদ: গ্রামবাংলার পালাবদলের স্বপ্নদ্রষ্টা রাষ্ট্রপতিকে টেলিনরের উকিল নোটিশ: এর অর্থ কী? ক্ষমা চাওয়ার বাংলাদেশী দাবি যেভাবে দেখে পাকিস্তান সাগরে নারী কচ্ছপের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার রহস্য কী? অনেক দিন পর দেখা ফিরে আসার তিমি কুঁজো তিমির সংখ্যা বেড়েছে ৯৩ শতাংশ এবং ১৯৮০ এর দশকে হারিয়ে যাওয়ার যে আশংকা তৈরি হয়েছিলো সেটি দুর করে ২০১৯ সালে এর প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজারে। শতবর্ষ জুড়ে তিমি শিকারের কারণে আটলান্টিকের দক্ষিণ পশ্চিমে এটি হারিয়ে যাচিছলো কিন্তু সে প্রবণতা এখন বন্ধ হয়েছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বড় আবিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মানবকোষকে রূপান্তর করেছে ইনসুলিন-উৎপাদিত সেলে। আর এই বড় উদ্ভাবনটিই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বড় আশা তৈরি করেছে। আলঝেইমার্স একটি নয়, কিন্তু তিনটি কারণে আশাবাদী হওয়ার মতো যুক্তি আছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন তারা রোগটির অগ্রগতি কমিয়ে দিতে সক্ষম হবেন। তারা বলছেন মস্তিষ্কের কোষে আলঝেইমার সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য ভবিষ্যৎ চিকিৎসায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে বার্কলের গবেষকরা বলছেন তারা ঔষধের মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে যা রোগটির গতি কমিয়ে দেবে। আর জার্মানির বিজ্ঞানীরা বলছে লক্ষ্মণ দেখার আগেই রোগটিকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ফজলে হাসান আবেদ: গ্রামবাংলার পালাবদলের স্বপ্নদ্রষ্টা ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি 'খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কোন অবহেলা হচ্ছে না' রাষ্ট্রপতিকে টেলিনরের উকিল নোটিশ: এর অর্থ কী? আনন্দের লাফ এইচআইভি লানচেট মেডিকেল জার্নালের সমীক্ষা অনুযায়ী চিকিৎসার মাধ্যমে যৌন সংসর্গের দ্বারা এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। প্রায় এক হাজার সমকামী জুটির ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা যাদের প্রতিটি জুটির একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং তাতে চিকিৎসার সাহায্যে তাদের যৌন সংসর্গের মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকানো হয়েছে। ম্যালেরিয়া মুক্ত হলো আলজেরিয়া ও আর্জেন্টিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে আলজেরিয়া ও আর্জেন্টিনা ম্যালেরিয়া রোগ মুক্ত। এর ফলে বিশ্বের ৩৮টি দেশ মশাবাহিত এ রোগটি থেকে মুক্ত হলো। অগ্রগতির খবর আলঝেইমার রোগ নিয়ে লোহিত সাগরের প্রবাল প্রাচীর লোহিত সাগরের প্রবাল প্রাচীর সংরক্ষণে জোট বেঁধেছে ইসরায়েল ও তার আরব প্রতিবেশীরা। পর্যটকদের আধিক্য, সি ওয়াটার ওয়ার্মিংসহ নানা কারণে প্রবালের সংখ্যা হুমকি মুখে ছিলো। এর দক্ষিণে কিছু প্রাচীর ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও উত্তরের দিকে এগুলো ভালোই আছে। এখন ইসরায়েল, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, ইয়েমেন, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সুদান মিলে তৈরি করবে রেড সি ট্রান্জেশনাল রিসার্চ সেন্টার যা পরিচালিত হবে সুইস ফেডারেল ইন্সটিউট অফ টেকনোলজি ও পরীক্ষা হবে কিভাবে প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি রোধ করা যায়। আশা করা যায় এর মাধ্যমে রক্ষা পাবে প্রবাল প্রাচীর। ডায়াবেটিস গবেষণায় বড় সাফল্য এসেছে সবুজ হচ্ছে পৃথিবী নাসা বলছে পৃথিবী ২০ বছর আগের চেয়েও পাঁচ শতাংশ বেশি সবুজ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নিবিড় কৃষিকাজ, ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ হয়েছে বিশেষ করে আফ্রিকা, ভারত ও চীনে। এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা এবং কিয়ানু রিভস আর দু:খিত নন বেশি দিন আগে নয়, একটা সময় ছিলো যখন আমেরিকান অভিনেতা কিয়ানু রিভস তার ব্যক্তি জীবনের ট্রাজেডি আর একাকীত্বের জন্যই বেশি পরিচিত ছিলেন, এমনকি তার অ্যাকশন ফিল্মের চেয়েও। 'স্যাড কিয়ানু' মেমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 'স্যাড কিয়ানু' প্যারোডির হাজার হাজার ফলোয়ার ছিলো টুইটারে। হ্যাশ ট্যাগ 'স্যাড কিয়ানু' ছিলো রেগুলার ট্রেন্ড। পনেরই জুন তার ভক্তরা পালন করেছে 'চিয়ার আপ কিয়ানু ডে'। কিন্তু ২০১৯ সাল এসে তার সবকিছুর অবসান হতে যাচ্ছে। কিয়ানু বলেছেন "কিয়ানু ইজ নট স্যাড এনি মোর"। আর্টিস্ট বান্ধবী আলেক্সান্দ্রা গ্রান্টকে নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন এবং বলেছেন তিনি শেষ পর্যন্ত দারুণ সুখী।
২০১৯ সালের ভালো সংবাদ ছিল কোনগুলো
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ব্লকবাস্টার সিনেমা হলে প্রামাণ্যচিত্রের নামে বানান ভুল ভুলটিকে 'প্রধানমন্ত্রীর জন্য মানহানিকর' বলে বর্ণনা করে সিনেমা হলটিকে উকিল নোটিশ পাঠান একজন আইনজীবী। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় ব্লকবাস্টার সিনেমাস-এ 'হাসিনা: এ ডটার্স টেল' (হাসিনা: এক কন্যার কাহিনি) নামে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর সময়। প্রেক্ষাগৃহের টিকিট কাউন্টারের কাছে একটি পর্দায় ইংরেজিতে দেখানো হচ্ছিল ওই হলে কখন কি ছবির প্রদর্শনী হবে। এতেই ছবির নামের শেষ শব্দটি 'Tale' (কাহিনি) এর পরিবর্তে ভুল বানানে 'Tail' লেখা হয় - যার অর্থ 'লেজ'। ফলে পুরো নামটির অর্থই পাল্টে যায়। রোববার সন্ধ্যা নাগাদ সিনেমা হলটির একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, ভুলটি সংশোধন করা হয়েছে। তবে এ ভুল কেন এবং কিভাবে হলো - এ সংক্রান্ত প্রশ্নের কোন জবাব দেন নি তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী ব্রিটিশ ল' স্টুডেন্টস'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ আল আলম চৌধুরীর পক্ষে ব্যারিস্টার নওরোজ এম আর চৌধুরী লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান। নওরোজ এম আর চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই বানান ভুলটি তাদের নজরে পড়ে শুক্রবার, এবং তখনই তার মক্কেল সিনেমা হলের একজন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু একদিন পার হয়ে গেলেও তা সংশোধন না করায় তারা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, বানান ভুলটি আপত্তিকর ছিল। হল কর্তৃপক্ষ যেন এটি দ্রুত সংশোধন করেন এবং জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন - সেটাই ছিল তাদের নোটিশ পাঠাবার পেছনে মূল উদ্দেশ্য। হাসিনা: এ ডটার্স টেল ছবিটি এখন ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে "আমরা মনে করছি না যে তারা এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন, হয়তো অবহেলা বা অজ্ঞানতার কারণেই হয়ে গেছে - কিন্তু এ কারণে তো একটা নেগেটিভ ইমপ্রেশন পড়তে পারে" - বলেন মি. চৌধুরী। মি. চৌধুরী তার লিগ্যাল নোটিসে লেখেন, এই 'দুষ্ট' বানান ভুলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার যে ক্ষতি হয়েছে - তা এক হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের। এর কিছু পরেই ব্লকবাস্টার সিনেমাস-এর অপারেশন্স হেড আহমেদ রানা বিবিসি বাংলাকে জানান: ভুলটি সংশোধন করা হয়েছে এবং এ নিয়ে তারা আর কিছুই বলতে চান না। এই বানান ভুলের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-বিতর্ক ও হাসি-মশকরার সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে খালেদ সাইফুল্লাহ নামে একজন ছবি সহ এক স্ট্যাটাস দিয়ে লেখেন: শেখ হাসিনাকে নিয়ে বানানো তথ্যচিত্রের নাম 'HASINA- A DAUGHTER'S TALE' কিন্তু যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমা হল তাদের প্রদর্শণীতে 'HASINA- A DAUGHTER'S TAIL' হিসেবে লিখেছে যার মানে হচ্ছে: "হাসিনা - একজন কন্যার লেজ।" মকবুল হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেন: "কি রিএক্ট করবো, হাসবো না কাঁদবো।" এর পর তিনি ইংরেজিতে লেখেন "Tale becomes tail which is definitely defamatory" - অর্থাৎ 'ভুলটি নিশ্চয়ই সুনামহানিকর।' সাকলায়েন শায়ন নামে একজন লেখেন:"ইটস জাস্ট এ টাইপো ব্রো। তোমরা মনে হচ্ছে মশা মারতে কামান ডাকতেছ।" সাব্বির আহমেদ নামে আরেকজন লেখেন: যমুনা ফিউচার পার্কে এখনই যাচ্ছি দেখে ছবি তুলবো।" রাফাত সরকার রিফাত নামে এক ইউজার মন্তব্য করেন: "ব্রো,মানুষ মাত্রই ভুল, সো ভুল হইতেই পারে, এটা আবার এইভাবে শেয়ার দেয়ার কিছুই নাই!" মূল ছবিটি অবশ্য অনেকেরই ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়। তানভেন সুইটি নামে একজন লেখেন: "৭০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম দেখলে তারা জানতে পারবে এই দেশের সত্যিকারের ইতিহাস। আমি অসাধারণ এক অনুভূতি নিয়ে হল থেকে বেরিয়েছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা আপা অসাধারণ মনের মানুষ।" লিটন দেওয়ান নামে আরেকজন লেখেন: "কেমন যেন এক অনুভূতি.. ডকুফিল্মটি দেখে কখনো বিস্মিত হয়েছি , কখনো বাকরুদ্ধ হয়েছি, কখনো কেঁদেছি ।" তিনি লেখেন, "একজন মানুষের কতটা অসীম মনের শক্তি, সাহসী মনোবল , দৃঢ়তা , নিষ্ঠা, দেশপ্রেম মনে নিয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে জীবন যুদ্ধে শূন্য থেকে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার উদাহরণ।"
শেখ হাসিনার ওপর প্রামাণ্যচিত্র: সিনেমা হলের বানান ভুল নিয়ে উকিল নোটিশ, ফেসবুক সরগরম
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
হরমুজ প্রণালী গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। যেখানে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। এই পথটি হরমুজ প্রণালী হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তেল রপ্তানি করা হয় হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল যায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায়। হরমুজ প্রণালীর একদিকে আছে আরব দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে আমেরিকার মিত্র দেশগুলো রয়েছে। হরমুজ প্রণালীর অন্য পাশে রয়েছে ইরান। হরমুজ প্রণালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ যে অংশ সেখানে ইরান এবং ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। এই প্রণালীতে জাহাজ চলাচলের জন্য দুটো লেন রয়েছে এবং প্রতিটি লেন দুই মাইল প্রশস্ত। হরমুজ প্রণালী সংকীর্ণ হতে পারে। কিন্তু জ্বালানী তেল বহনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ চলাচল করার জন্য হরমুজ প্রণালী যথেষ্ট গভীর এবং চওড়া। পৃথিবীতে যে পরিমাণ জ্বালানী তেল রপ্তানি হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। এই প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। আরও পড়তে পারেন: তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় হবে জরুরী বৈঠক হরমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয় মালাক্কা প্রণালী দিয়ে জ্বালানী তেল রপ্তানি হয় এক কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল এবং সুয়েজ খাল দিয়ে প্রতিদিন ৫৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। হরমুজ প্রণালী হচ্ছে ইরানের জ্বালানী তেল রপ্তানির প্রধান রুট। ইরানের অর্থনীতির জন্য এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের মোট রপ্তানি আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে জ্বালানী তেল রপ্তানির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ইরান ৬৬০০ কোটি ডলারের তেল রপ্তানি করেছে। ইরানের উপর আমেরিকা নতুন করে যে অবরোধ দিয়েছে তাতে তারা মোটেও খুশি নয়। ইরান বলেছে, তাদের তেল রপ্তানিতে আমেরিকা যদি বাধা দেয়, তাহলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে কোন তেল রপ্তানি করা যাবেনা। ইরান বলেছে, হরমুজ প্রণালী দিয়ে যত তেল পরিবহন করা হবে সেটি তারা বন্ধ করে দেবে। ১৯৮০'র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ইরাক এবং ইরান পরস্পরের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চেয়েছিল। তখন জ্বালানী তেল বহনকারী ২৪০টি তেলের ট্যাংকার আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৫৫টি ডুবে গিয়েছিল। ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে চায় তাহলে সেটির কিছু নেতিবাচক দিক আছে। হরমুজ প্রণালী অশান্ত হয়ে উঠলে পৃথিবীজুড়ে জ্বালানী তেলের দাম বাড়বে।
হরমুজ প্রণালী: ইরান ও আমেরিকার কাছে কেন এতোটা গুরুত্বপূর্ণ ?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশে গত কয়েকমাসে কয়েকজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষক নিখোঁজ হন। যার মধ্যে সম্প্রতি ফিরে এসেছেন দুজন, গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে একজনকে। প্রায় চারমাস নিখোঁজ থাকার পর হঠাৎ করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে দুমাসেরও বেশি নিখোঁজ থাকার পর সাংবাদিক উৎপল দাসকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রায় দেড়মাস নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। এ দুটি ঘটনায় দুজন প্রায় একই রকম বর্ণনা দিয়েছেন। এমন ঘটনার নিজেরা কতটা তদন্ত করে পুলিশ ? এ ধরনের ক্ষেত্রে তদন্তে পুলিশের তরফ থেকে একধরনের অনীহা লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এইধরনের ক্ষেত্রে পুলিশের একধরনের অনীহা লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে পরিবারগুলোর তরফ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার একধরনের সন্দেহ প্রকাশ করা হয় সেসব ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের একধরনের অনীহা বা অনাগ্রহ লক্ষ্য করি"। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (ফাইল চিত্র) যারা মামলা করেছেন বা অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছেন সেগুলো কতটা ফলো আপ করে পুলিশ? নুর খান লিটন বলেন, "অনেকগুলো অভিযোগের ক্ষেত্রে দেখেছি পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন, কোনও কোনটি এখনও অপেক্ষমাণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেছি এই ধরনের মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে যেমন অনীহা আছে, তেমনি তদন্তের ক্ষেত্রেও অনীহা আছে। এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা দেয়া কিংবা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে তথ্য নিয়ে তার বিশ্লেষণ করা-সেটা আমরা দেখিনা"। এই মানবাধিকার-কর্মী জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অনেকসময় তা বাদ দিয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নথিভুক্ত করা হয় বলেও লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেন, "যেসমস্ত পরিবারগুলো আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে, আমরা যখন তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে যাই এবং পুলিশ যখন জিডি বা অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার কথা লেখা থাকে তারা সাধারণত ওই অংশটি কেটে জিডি আকারে গ্রহণ করেন। এবং তারপরে এই জিডি বা অভিযোগকে আর গুরুত্ব দেয়া হয় বা ফলো আপ করা হয়-তেমনটি আমরা দৃশ্যমান দেখিনা"। নিখোঁজ হওয়ার পর যারা ফিরে আসছেন তাদের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করা এবং সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতা দৃশ্যমান নয় বলেও তিনি মনে করেন। পুলিশ বলছে, অনেক ধরনের তথ্যই থাকে তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য কি? জানতে চাইলে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) সহেলী ফেরদৌস বিবিসি বাংলাকে বলেন, "কোন ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করি রহস্য উদঘাটনের জন্য এবং তথ্য সবসময়ই কাম্য। তথ্যের ওপর নির্ভর করেই পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নেই। অনেক ধরনের তথ্যই তো থাকে তা যাচাই-বাছাই করে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করি"। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অনেকসময় তা বাদ দিয়ে জিডি গ্রহণ করার অভিযোগ বা তদন্তের পুলিশের অনীহার অভিযোগ অস্বীকার করে এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, নিখোঁজের ক্ষেত্রে জিডির গুরুত্ব অবশ্যই আছে। এরকম ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই তা বিবেচনা করা হয়। আরও পড়ুন: 'অনেক মানুষকে গোপনে আটকে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী' নিখোঁজের চারমাস পর 'গ্রেপ্তার' কল্যাণ পার্টি নেতা 'তুই চলে যা, পেছনে তাকাইলে মাইরা ফালামু'
বাংলাদেশে নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত করতে কতটা আগ্রহী পুলিশ?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা থেকে বেঁচে ফেরা ওমর জাহিদ মসজিদে খুতবা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের ভেতরেই তিনি গুলির শব্দ শুনতে পান। তার পিঠে এখনো রয়েছে গুলির একটি ক্ষত। গত ১৫ মার্চের ওই হামলার ঘটনায় অন্তত ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেক মানুষ। হামলাকারী পুরো হামলার ঘটনাটি নিজেই ভিডিও করে লাইভ সম্প্রচার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ওই ভয়াবহ হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই ছিলেন ওমর জাহিদ। আরো পড়ুন: 'কী দেখেছি তা বর্ণনা করার মতো না' ক্রাইস্টচার্চ হামলা: প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছিলেন যারা 'অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিলেন আমার স্ত্রী' ক্রাইস্টচার্চ হামলা: হতাহতদের সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে হামলার শিকার মসজিদের বাইরে পুলিশের প্রহরা বিবিসি বাংলার কাছে সেদিনের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে দিয়ে তিনি বলছিলেন, নিউজিল্যান্ড অবশ্যই ভালো একটি দেশ, এটা আমরা বিশ্বাস করতাম এবং এখনো করি। এতদিন ধরে আমরা খুব ভালো একটি জীবনযাপন করছিলাম। চার বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে রয়েছেন ওমর জাহিদ। ''সেদিন ছিল শুক্রবার। মুসলমান হিসাবে প্রতি শুক্রবারেই জুম্মার নামাজ পড়তে আমরা মসজিদে যাই। দুপুর সাড়ে ১২টায় আমার কাজ শেষ করে নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নে।'' বলেন মি. জাহিদ। ''ক্রাইস্টচার্চে জুম্মার নামাজ শুরু হয় দুপুর ২টায়। খুতবা শুরু হয় তার আধঘণ্টা আগে, দুপুর দেড়টায়।'' হামলার ঘটনার পর মসজিদের বাইরে আসা স্বজনেরা ওমর জাহিদ বলছেন, ''ওই দিন আমি একটু আগে গিয়েছি, যাতে খুতবা শুনতে পারি। এজন্য বাসা থেকে বের হয় পৌনে একটা বা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে। আমার নিজের গাড়ি চালিয়ে মসজিদে পৌঁছাই ১টা ১০ মিনিটের দিকে। ''এরপর মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ি। এরপর দ্বিতীয় সারিতে গিয়ে বসি, ঠিক মুয়াজ্জিনের পেছনে। দেড়টার দিকে ইমাম সাহেব প্রবেশ করে তার স্থানে গিয়ে সালাম দিয়ে সবে দুই একটা কথা বলতে শুরু করেছেন।'' ''এমন সময় আমরা বাইরে থেকে বিকট আওয়াজ শুনতে পেলাম। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম আতশবাজি বা বৈদ্যুতিক কোন শর্টসার্কিট হয়েছে। একটু পরেই দেখতে পাই পেছনের মানুষজন দৌড়াদৌড়ি করছে, চিৎকার করছে। তখন আমাদেরও মনে হলো যে খারাপ কিছু হয়তো ঘটছে। কিন্তু গোলাগুলি হচ্ছে কিনা, সেটা তখনো আমি ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি।'' হামলাকারী ব্রেন্টন টারান্টকে শনিবার ক্রাইস্টচার্চে এক আদালতে হাজির করার পরে পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে ওমর জাহিদ বলছেন, ''তখন আমি ডানপাশে গিয়ে একেবারে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লাম। আমার সাথে অন্য যারা ছিলেন, তারাও শুয়ে পড়লেন, তবে কয়েকজন হয়তো বের হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ হয়তো বেঁচে গেছেন। তবে সেই দিন অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।'' নিজের বেঁচে যাওয়ার জন্য ভাগ্যকেই কৃতিত্ব দিতে চান ওমর জাহিদ। তিনি বলছেন, ''আমি আসলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। কারণ আমার ডানপাশে যিনি ছিলেন, তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তিনি মারা গেছেন কিনা জানি না। আমার পায়ের কাছে ছিল একটি সোমালিয়ান বাচ্চা, সে মারা গেছে। বাম পাশেও একজন ছিলেন, তিনিও মারা গেছেন কিনা নিশ্চিত নই।'' ''যখন গুলি করা হচ্ছিল, তখন আমার বাম কাঁধে একটি গুলি লাগে। তখন আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি হয়তো মারা যাচ্ছি বা মারা যাবো।'' ''প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ মিনিটের মতো গুলি করা হয়েছে, সঠিক সময়টা আমার মনে নেই। পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ।'' ''আমি জানি না কিভাবে আমি বেঁচে ফিরে আসলাম। কারণ ভিডিওতে পরে আমি দেখেছি, আমার দিকে সে তিন চারবার গুলি করেছে। আসলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি।'' নিহতদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ তিনি বলছেন, ''যখন গুলি থেমেছে, তখন আমি দুইজন ভারতীয় বন্ধুকে দেখতে পেলাম। তাদের সঙ্গে আগের বাসায় একসঙ্গে থাকতাম। আসিফ নামের ওই বন্ধুকে আমি ডাকলে তিনি এসে আমাকে পরীক্ষা করে বললেন যে, বুলেট আমার শরীরের ভেতরে যায়নি, শুধুমাত্র একটু স্পর্শ করে গেছে, একটু জখম হয়েছে।'' ''তখন আমি উঠে তাদের জিজ্ঞেস করলাম, বন্দুকধারী কি চলে গেছে? ওরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারলো না।'' ''আমি উঠে পাশের যে মুরুব্বি শুয়ে ছিলেন, তাকে জাগানোর চেষ্টা করলাম। তাকে আমি চিনি, কিন্তু নাম জানি না। তবে তিনি কোন সাড়া দিচ্ছিলেন না। আমি ভাবলাম তিনি হয়তো মারা গেছেন। এরপরে আমি যখন পেছনে তাকালাম, যা দেখলাম তা দেখে আমি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।'' ''তিন থেকে চার বছরের যে ছেলেটাকে একটু আগেই কোরান শরীফ পড়ে রাখতে দেখেছি, সে হয়তো একজন হাফেজ, তাকে দেখি বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, মুখে গুলির আঘাতের চিহ্ন। '' ''গুলি শুরু হওয়ার আগে মোজাম্মেল হক নামের যে বন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশে যাওয়ার ব্যাপারে গল্প করছিলাম, তাকে খোঁজার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোথাও দেখতে পেলাম না। যখন আশেপাশে তাকালাম, দেখলাম যে আমার পরিচিত অনেকেই পড়ে আছেন।'' ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত হোসনে আরা ফরিদ ওমর জাহিদ জানাচ্ছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলমান সম্প্রদায়টি অনেক ছোট। সবমিলিয়ে তিনশোজনের মতো ব্যক্তি নিয়মিত মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসেন। এ কারণে প্রায় সবাই একে অপরকে চেনেন। তিনি বলছেন, ''দেখতে পেলাম একজন ভারতীয় ব্যক্তি, যিনি এখানে আসার আগে কিউবায় থাকতেন, এক কোণে দেয়ালে হেলান দিয়ে সোফার মধ্যে বসে আছেন। তিনি খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন, একটি ডেইরি দোকানের মালিক ছিলেন।'' এরপর পাঁচ থেকে ১০ সেকেন্ডের মতো মসজিদে ছিলেন ওমর জাহিদ। পেছনের এলাকা অর্থাৎ পার্কিং এলাকা থেকে দেয়াল টপকে একটি বাসায় আশ্রয় নেন। ওই বাসায় একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি হয়তো সামরিক বাহিনী বা পুলিশের ডাক্তার ছিলেন। তিনি প্রাথমিক পর্যায়ের সহায়তা দিলেন। আমার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলেন, যাদের অবস্থা ছিল আরো গুরুতর। একটু পরে অ্যাম্বুলেন্স এসে গুরুতর আহতদের জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের বলে যে, তারা যেন এখান থেকে অন্য কোথাও না যাস, কারণ তখনো হামলাকারীকে আটক সম্ভব হয়নি। পরের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা তাকে ওই বাড়িতেই থাকতে হয়। বিকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের গাড়ি এসে ওই বাসা থেকে তাকে নিয়ে নিজের বাসায় পৌঁছে দেয়। এরপর জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করা হলে কর্মীরা এসে ইসিজি, ব্লাড টেস্ট আর ড্রেসিং করে দেয়। ওমর জাহিদ বলছেন, ''এরপরে আমি আবার হাসপাতালে গেলাম আমার বন্ধুদের খবর নিতে। কিন্তু এখনো তাদের সম্পর্কে কোন তথ্য পাইনি।''
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা: 'তখন আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি হয়তো মারা যাচ্ছি বা মারা যাবো',প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশীর বর্ণনায়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
রোহিঙ্গাদের এই দলটি মাত্রই এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। এরা সবাই নারী ও শিশু। মাত্রই এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশে। অপেক্ষা করছেন শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবার এবং মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই পাবার। এই দলটির মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ সানোয়ারার সাথে কথা বলে জানা গেলো, বাড়ির পুরুষেরা সহিংসতার কারণে নিখোঁজ ও নিহত হবার পরও গত ছ'মাস ধরে তারা মিয়ানমারে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। এখন আর সেখানে সরাসরি কোন অত্যাচার নির্যাতন না থাকলেও নানারকম বাধা বিঘ্নর কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে সেখানে আর থাকবার উপায় ছিল না তাদের। "কাজ করতে পারি না। খেতে পাই না। সেনাবাহিনী সন্ধেবেলায় ঘরে আলো জ্বালতে দেয় না। জঙ্গলে কাঠ কাটতে দেয় না। কাজ নেই। খাব কি"? বলছিলেন মিয়ানমারের বুচিডংয়ের সিন্নিপ্রাং গ্রামের বাসিন্দা সানোয়ারা। কিন্তু গত বছর নভেম্বর মাসের শেষভাগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের 'অ্যারেঞ্জমেন্ট' নামের একটি চুক্তি হবার পরেও কেন আসতে হচ্ছে সানোয়ারাদের? তার বক্তব্যে অবশ্য উঠে আসছে বাধাবিঘ্নের কথা। দেখা যাচ্ছে চুক্তি হবার পরও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে অন্তত দশ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের সাথে শরণার্থী প্রত্যাবসন চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও এখনো প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন শরণার্থী। আরও দেখুন: বাংলাদেশে চালু হচ্ছে মানবাধিকার হটলাইন অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে গত মঙ্গলবার আমি যেদিন কুতুপালং যাই সেদিন এসেছে কুড়ি জন। আর গত ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসেছে ৪শর বেশী। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ক্যারোলিন গ্লাক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "গত কয়েক সপ্তাহে অনেক বেশী সংখ্যায় এসেছে তারা"। "তারা বলছে, তারা এখনো ভীত। তারা চলাফেরার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবার কথা বলছে। কাজের অভাবের কথা বলছে। দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হবার কথা বলছে। সেনাবাহিনী আতংকও এখনো রয়ে গেছে তাদের মধ্যে"। বলছিলেন মিজ গ্লাক। অথচ ওদিকে দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার জন্যও কর্মতৎপরতা শুরু করেছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। সেখানে থেকে বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতার পাঠানো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বুলডোজার ব্যাবহার করে মাটি সমান করার কাজ হচ্ছে। চলছে টিন ও কাঠ দিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজও। কিন্তু সেই তুলনায় বাংলাদেশে এখনো চোখে পড়ার মতো কোন তৎপরতা নেই। ক্যারোলিন গ্লাক, ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র গত প্রায় ছ'মাস ধরে নিবন্ধন কর্মসূচী চালিয়ে নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে সাড়ে দশ লাখের বেশী রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিবন্ধিত করবার পর বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এখন বলছে তারা নতুন করে পারিবারিক ভিত্তিক তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে। এই কাজ এখনো শেষ হয়নি। ওদিকে মিয়ানমার শরণার্থীদের গ্রহণ করবার আগে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তালিকা যাচাই-বাছাই করবে বলে শর্ত রয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়ার জন্য পরিবার ভিত্তিক রোহিঙ্গাদের ছোট একটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। এমন প্রেক্ষাপটে শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে এসেছেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াও সোয়ে। কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলছেন, পরিবারভিত্তিক রোহিঙ্গাদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা এরই মধ্যে প্রস্তুত করে রেখেছেন তারা। জেনারেল সোয়ের এই সফরেই তার হাতে সেই তালিকাটি তুলে দেবার জোর সম্ভাবনা আছে বলে বিবিসিকে জানাচ্ছেন মি. কালাম।
'সেনাবাহিনী সন্ধেবেলায় ঘরে আলো জ্বালতে দেয় না। জঙ্গলে কাঠ কাটতে দেয় না। কাজ নেই। খাব কি?'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশে ঈদ নিয়ে যত নাটকীয়তা হয়েছে ইংল্যান্ডে এসবের বালাই নেই তবে কেমন হয় ইংল্যান্ডের ঈদ? সেই কৌতুহল মেটাতে কথা হয় বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশির সাথে। এখানে ১০ বছর ধরে থাকা আসাদ বলছিলেন সাধারণত নিজেদের মতো করে পরিবারকে সাথে নিয়েই হয় ঈদ উদযাপন। ''কারো ছুটি মেলে তো কারো মেলেনা। সেক্ষেত্রে সকালে ঈদের নামায পড়ে কেউ কাজে যোগদান করছেন, আবার কেউবা কাজ শেষ করে এসে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন কিংবা আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করছেন। বড় জামাতটা হয় ইস্ট লন্ডন মসজিদে। এছাড়া বিভিন্ন পার্কেও অনুষ্ঠিত হয় ঈদের নামায" বলছিলেন মি. আসাদ। এছাড়া ঈদের কিছু আনুষ্ঠানিকতা তো করতেই হয়। তাই তো ঈদের সপ্তাহখানিক আগে থেকে ভিড় বাড়ে ইস্ট লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার দোকানগুলোতে। ঈদের আগের রাতে বড়সড় উৎসবই হয় গ্রিন স্ট্রিট, ব্রিকলেন, আপটন পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায়। পাকিস্তানি, ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশিরাও মেতে ওঠেন মেহেদী উৎসবসহ নানা আয়োজনে। প্রায় সব মুসলমানদের বাড়িতেই একটু বিশেষ কিছু রান্নাও হয়। আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ মানেই ঢোল পেটানো নয় , ভিন্ন কিছুও হতে পারে বিশ্বকাপ ডায়েরি: লন্ডন যেন এক টুকরো পৃথিবী অস্থিরমতি ইংলিশ আবহাওয়ায় স্বাগত যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের এবারের ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ঈদের দিন সকাল থেকেই লন্ডনের স্বাভাবিক ব্যস্ত নাগরিক জীবন। এর মাঝেই নতুন পাঞ্জাবি পড়া বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সহজেই আলাদা করে চোখে পড়ে। হয় নামাজে যাচ্ছেন কিংবা নামাজ থেকে ফিরছেন। টিউবেও দেখা মেলে ঈদের পোশাকে থাকা পুরুষ ও নারীদের। তবে ঈদের এই স্বাভাবিক উদযাপনে এবার যোগ হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আর সেটাই প্রবাসীদের আনন্দ যে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ''এবারের ঈদের আমেজটাই অন্যরকম। ঈদের সময় মাঠে বসে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ আমার আগে হয়নি।'' বাংলাদেশের জার্সি পড়ে কথা গুলো বলার সময় আনিসুরের চোখ মুখ আনন্দে উজ্জ্বল। ওভালে হাজির হওয়া হাজারো বাংলাদেশির এই একই সুর। বিদেশে বসে নিজ দেশকে সমর্থন করাই আনন্দটাই যে অন্যরকম। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: উত্তেজনার ম্যাচে ২ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ 'মনে হচ্ছিল মিরপুর বা চট্টগ্রামে চলে এসেছি' যেভাবে স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকেছিল ভারতীয় সেনা ট্যাঙ্ক কে এই মুসলিমবিরোধী 'বৌদ্ধ বিন লাদেন'?
বিশ্বকাপ ডায়েরি: ঈদ নাকি বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ডে কোনটা এবার বড় উৎসব প্রবাসীদের
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ম্যাগাজিনটিতে পাঁচটি কলেজের কথা উল্লেখ করা হয় যেখানে পার্টির জন্য শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায়। তারপর থেকে সরগরম হয়ে উঠছে সবাই এবং এর জের ধরে ক্ষমাও চেয়েছে ওই সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন 'স্প্যা'। কারণ ম্যাগাজিনটি যেই র‍্যাংকিং করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তার বিষয় ছিলো -ড্রিংকস পার্টিতে যৌনতার জন্য ছাত্রীদের রাজী করানো কতটা সহজ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কী? পিতার অবাধ্য হলেই কেন জেলে ঠাঁই হয় সৌদি নারীদের? দশক ধরে চেতনাহীন রোগীর সন্তান জন্মদানে প্রবল হৈচৈ সাতক্ষীরায় মাটির নিচে শত বছরের পুরনো সিন্দুক প্রতিবেদনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো। সাপ্তাহিক ওই ম্যাগাজিনে এটি প্রকাশিত হওয়ার পর চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে একজন নারী একটি ক্যাম্পেইনের সূচনা করেছেন এর বিরুদ্ধে যাতে আর্টিকেলটি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার দাবি করা হয়েছে। যদি ওই লেখায় একটি বিশেষ পার্টির উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে যেখানে যোগ দেয়ার জন্য নারীদের অর্থ দিয়ে থাকে পুরুষরা। গত ২৫শে ডিসেম্বর সংখ্যায় বলা হয়েছে ড্রিংকস পার্টিগুলো বেশ জনপ্রিয় তরুণী শিক্ষার্থীদের মধ্যে, যারা বিশেষত কলেজ পর্যায়ের ছাত্রী। এতে একটি অ্যাপ নির্মাতার সাক্ষাতকারও ছিলো। এই অ্যাপটি পার্টিতে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের মধ্যে যোগাযোগে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে পাঁচটি কলেজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ও বলা হয়েছে এসব কলেজে পার্টিতে যোগ দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায়। পরে বিবৃতি দিয়ে এ ধরণের র‍্যাংকিং আর প্রতিবেদনের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি। "আমরা স্পর্শকাতর শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত"-এমনটিই বলছে তারা। বিবিসি বাংলার খবর: এ ঘটনায় র্ধষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে
জাপানে যৌনতার সুযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং: অতঃপর ক্ষমা প্রার্থনা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার তুরস্কের ইস্পাত ও এ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এ মন্তব্য করেন মি. এরদোয়ান - যা নিউ ইয়র্ক টাইমসে বেরোয়। শুল্ক বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের পর থেকে ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার ১৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। তুরস্ক একটি অর্থনৈতিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আশংকা করছেন অনেকেই। মি. এরদোয়ান নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। "ওদের যদি ডলার থাকে - তাহলে আমাদের আছে আমাদের জনগণ, আমাদের অধিকার এবং আমাদের আছেন আল্লাহ" - আংকারায় এক ভাষণে বলেন মি. এরদোয়ান। মি. ট্রাম্প শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে টুইট করার কিছু পরই মি. এরদোয়ান ফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে। লিরার দর পতনের প্রেক্ষাপটে তুরস্কের ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রকরা এ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছেন - এমন এক খবর বের হলেও পরে নিয়ন্ত্রকরা তা অস্বীকার করেন। তুরস্ক ওআমেরিকার সম্পর্ক এত খারাপ হয়েছে কেন? মি. এরদোয়ান ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষুব্ধ - কারণ সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকানরা, তা ছাড়া নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকেও তারা বিচারের জন্য তুরস্কের হাতে তুলে দিচ্ছে না। এ ছাড়া আংকারা যে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার পরিকল্পনা করছে - সেটাও একটা বড় কারণ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: তুরস্ক কি অর্থনৈতিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক এবং আমেরিকা গুলেনকে 'অপহরণের পরিকল্পনা' অস্বীকার করলো তুরস্ক আংকারায় লিরার দরপতনের খবর দেখছেন কয়েকজন অন্যদিকে আঙ্কারার অভিযোগ, ফেতুল্লাহ গুলেন পেনসিলভানিয়ায় তার বাড়িতে বসে মি. এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের কলকাঠি নেড়েছিলেন। মি. এরদোয়ান আরো বলেন, সন্ত্রাসের অভিযোগে তুরস্কে বিচারাধীন মার্কিন ধর্মযাজক এ্যান্ডু ব্রানসনের ব্যাপারে বিচারের প্রক্রিয়া শেষ হবার অপেক্ষা না করেই ওয়াশিংটন পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। মি. ব্রানসনের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযোগ - তার সাথে কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ফেতুল্লা গুলেনের সম্পর্ক আছে। আমেরিকার শক্তিশালী ইভানজেলিকাল খ্রিষ্টান লবি এ নিয়ে হৈচৈ শুরু করার পর এর জবাবে তুর্কী স্বরাষ্ট্র এবং বিচারমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তুরস্কের মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কিছুদিন পরেই ট্রাম্প এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিলেন। এ ছাড়া আরো কারণ আছে। মার্কিন ধর্মযাজক এ্যান্ডু ব্রানসন তুরস্ক তাদের প্রায় অর্ধেক তেল আমদানি করে ইরান থেকে । সে কারণে ইরানের ওপর পুন:আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করা হয়। তুরস্কের মাটিতে আছে নেটো জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনজারলিক সামরিক বিমান ঘাঁটি। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য নেটো এ ঘাঁটিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। এ ঘাঁটিটি বন্ধ করে দেবার জন্য তুরস্কে অভ্যন্তরীণ চাপ আছে। তুরস্কের কিছু সরকার সমর্থক আইনজীবীর অভিযোগ - ইনজারলিকে মোতায়েন কিছু আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা এরদোয়ান-বিরোধী অভ্যুত্থানের পেছনে ভুমিকা রেখেছিলেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও চেয়েছিলেন তারা। গত সপ্তাহে এক অভিযোগে এই আইনজীবীরা বিচারকের প্রতি আবেদন জানান - যেন ইনজারলিক থেকে সব বিমান উড্ডয়ন বন্ধ করে দেয়া হয়।
'ওদের আছে ডলার, আমাদের আছেন আল্লাহ' - ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিলেন এরদোয়ান
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ঘরেই কেটে যাচ্ছে শিশুদের জীবনের মূল্যবান সময়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন, "অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীর যে 'ডাটা কস্ট' - সেটা আমরা্ সাবসিডাইজ করার কথা ভাবছি।" বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার দশদিনের মাথায় মার্চের মাঝামাঝি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুলের বন্ধ কয়েক দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য সরকারিভাবে অনলাইনে শিক্ষার খরচ পরিশোধ করা, শ্রেণীকক্ষে কয়েক ভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান - এরকম নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন, শিক্ষার্থীর যে ডাটা কস্ট সেটা সাবসিডাইজ করার জন্য যেমন ধরুন আমরা একটা সরকারি ওয়েবসাইট করলাম। সেখানে ক্লাসের পড়া রেকর্ডেড থাকবে। যার কাছে একটা স্মার্ট ডিভাইস থাকবে সে তার সময়মত ক্লাস করে নিতে পারবে। " "মোবাইল কোম্পানিগুলো আমাদের বলবে এই সাইটের জন্য কত টাকা ডাটা কস্ট এসেছে। সেটা সরকার পরিশোধ করে দেবে।" তিনি বলছেন, স্কুল পর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকে একসাথে ক্লাস না করিয়ে কয়েক ভাগে ভাগ করে ক্লাস নেয়া সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে। "এটা হতে পারে এক সপ্তাহে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস করবে। পরের সপ্তাহে অন্যরা। " তবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে যে কার্যক্রমই নেয়া হবে তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ীই হবে, বলছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। সরকার অনলাইনে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ দেবে। স্কুল খোলার পর যেভাবে এগোতে চান একজন শিক্ষক বাংলাদেশে শহরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান চলছে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও সরকারের তরফ থেকে পাঠদানের চেষ্টা রয়েছে। তবে দেশে সরকারি হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে যে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের সবার পরিবার স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য রাখে না। বিশেষ করে মহামারির কারণে যেভাবে মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে তাতে অনেকের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। অন্যদিকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বহু পরিবারে টেলিভিশন পর্যন্ত নেই, - বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কথা হচ্ছিল এরকমই একটি এলাকা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এশতেয়ারা রুমার সাথে। তিনি বলছেন, স্কুল খোলার পরপর তাদের হাতে একটি শ্রেণীতে যত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তার সবকিছু পড়িয়ে শেষ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলছেন, "শুরুতে প্রতিটা ক্লাসে কিছু বেসিক জিনিস থাকে যেমন প্রথম শ্রেণীতে বর্ণ শেখা ও লিখতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিতীয় শ্রেণীতে শব্দ শেখা, যুক্তবর্ণ ও বাক্য গঠন, তৃতীয় শ্রেণীতে শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে রিডিং পড়তে পারবে। যে শ্রেণীতে যে বেসিক বিষয়, সেগুলোর উপরেই স্কুল খোলার পর আমি জোর দেবো।" পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় শিশুরা এখন নানা ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনি্ও গুতেরেস আজ বলেছেন করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে তা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম। শিক্ষায় এখন যে সংকট চলছে তা যাতে বিপর্যয়ে রূপ না নেয় সেব্যাপারে আজ বিশ্বের সকল সরকারকে নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন শিক্ষায় গত কয়েক দশকে যে অগ্রগতি হয়েছে তা মুছে যাচ্ছে এই কয়েক মাসেই। শিক্ষায় অর্থ বরাদ্দ বিশ্বব্যাপী ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করছিলেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ গণসাক্ষরতা অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলছিলেন, "সরকারের সদিচ্ছার একটা বহিঃপ্রকাশ আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে। সেটি কিন্তু হয়নি। উল্টো বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম এটি প্রত্যাহার করা হবে কিন্তু তা করা হয়নি।" "সরকার ডাটা চার্জ দিয়ে দেবে সেটা খুবই ভাল কথা, কিন্তু যে খরচ বেড়েছে সেটা প্রত্যাহার প্রয়োজন।" বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে ৯৬ শতাংশ পরিবারে মোবাইল ফোন রয়েছে যার বড় অংশই ফিচার ফোন। যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব এবং তাতে রেডিও রয়েছে। সেগুলোর দাম কমানো অথবা সরকারিভাবে বিলি করার কথা বলছেন রাশেদা কে চৌধুরী যাতে করে সেখানে সরকারিভাবে বার্তা পাঠিয়ে এবং রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান সম্ভব হয়। তিনি বলছেন, "সরকার অনেক বার্তা পাঠায় যেমন টিকা দিন, করোনার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এরকম বার্তা পাঠাতে পারে সরকার। টিভিতে যে পাঠদান হচ্ছে, রেডিওতে সেই একই জিনিস সম্প্রচার হলে এই যে এত লোকের হাতে ফিচার ফোন তারা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় সেটা কাজে লাগাতে পারবে। ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।" তিনি আরও বলছেন, "শিশুরা এখন পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। সরকারের উচিত উপবৃত্তির তালিকাটা বাড়ানো। এক পরিবারের দুটি শিশুকে যদি উপবৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে, তাদের যদি আর একটি সন্তান তাকেও এর আওতায় আনা অতি প্রয়োজন। খেতে না পারলে লেখাপড়া হবে না।" বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে, শঙ্কা কাটাতে অনেকে যা করছেন করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? 'প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, 'প্রটোকল' কী বলছে
করোনাভাইরাসঃ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়ার জন্য ‘ডাটা চার্জ’ দেবে সরকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্রিটেনে গ্রীষ্মে বৃষ্টি একটি পরিচিত দৃশ্য এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে, যা এর আগে কোনো বিশ্বকাপে হয়নি। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার লিগ পর্বের ম্যাচেই বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি। এছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলা এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দুটো ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয়েও আর খেলা শেষ করা হয়নি। গ্রুপ পর্বে যদিও লম্বা সূচি ও সম্প্রচার নীতিমালার কারণে খেলায় রিজার্ভ ডে রাখা সম্ভব হয়নি। সেমিফাইনালে অবশ্য একটি করে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। যদি রিজার্ভ ডেতেও বৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে যে দল গ্রুপ পর্বে যে দল ওপরে আছে সেখানে লর্ডসে ফাইনাল ম্যাচের টিকিট পাবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কিছু খবর যা আপনি পড়তে পারেন: ভারত কি নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে? বাংলাদেশকে 'চিবিয়ে খাব' বিজ্ঞাপন নিয়ে ভারতে বিতর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচ স্টিভ রোডস বরখাস্ত ২০১৯ বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ একটি ওয়ানডে ম্যাচ সম্পন্ন হতে কমপক্ষে ২০ ওভার খেলা হওয়া প্রয়োজন প্রথম ইনিংসে। ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে এরপর খেলা হবে। আবার যদি সেমিফাইনালে দুই দলের স্কোর সমান হয় সেক্ষেত্রে সুপার ওভার রয়েছে। রায়হান মাসুদ, বিবিসি বাংলার ক্রীড়া সংবাদদাতা আজ কি ম্যানচেস্টারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে? বিবিসির আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে ম্যানচেস্টারে আজ আকাশে মেঘ থাকবে। বৃষ্টি হলেও তার মাত্রা খুব বেশি হবে না। ম্যানচেস্টারে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বৃষ্টির শতাংশ ৪১ থেকে ৩০। এরপরে সেটা ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আশা করা হচ্ছে বৃষ্টি যদি বাঁধা দেয়ও তবু ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'ক্রিস্টাল মেথ বা আইস' শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর? গোপন বার্তায় ট্রাম্পকে নিয়ে যা বলেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত চাকরির বয়স না বাড়ানোর পেছনে শেখ হাসিনার যুক্তি
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: বৃষ্টি হলে ভারত কেন জিতে যাবে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
খালিফা হাফতার: এক সময় ছিলেন গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ সেনা অফিসার কখনো তিনি ছিলেন লিবিয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের কাছাকাছি খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কখনো তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে। পরে আবার তার প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ক্ষমতার কেন্দ্রে। খালিফা হাফতারের অধীনে থাকা বাহিনী এখন লিবিয়ার প্রধান তেল টার্মিনালগুলোর দখল নিয়েছে। এর ফলে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর টবরুকের পার্লামেন্টের হাতে (এই পার্লামেন্টকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সমাজ) দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৪৩ সালে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আজডাবিয়ায় খালিফা হাফতারের জন্ম। ১৯৬৯ সালে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সেনা কর্মকর্তারা রাজা ইদ্রিসকে ক্ষমতাচ্যূত করে ক্ষমতা দখল করেন, তিনি ছিলেন তাদের একজন। পতন এবং নির্বাসন গাদ্দাফির শাসনামলে খালিফা হাফতার বেশ দ্রুত উপরে দিকে উঠে যান। ১৯৮০র দশকে লিবিয়ার বাহিনী যখন প্রতিবেশী দেশ চাডে সংঘাতে লিপ্ত, তখন তাকে সেই লড়াইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে এটিই খালিফা হাফতারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ফ্রান্সের সমর্থনপুষ্ট চাডিয়ান বাহিনীর হাতে তার বাহিনী পরাজিত হয়। খালিফা হাফতার এবং তার বাহিনীর ৩০০ জন সৈন্য ১৯৮৭ সালে চাডিয়ায় বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। জেনারেল হাফতারের অনুগত বাহিনীর দুই সদস্য লিবিয়া যে চাডে যুদ্ধ করতে বাহিনী পাঠিয়েছে, গাদ্দাফি বরাবরই তা অস্বীকার করছিলেন। কাজেই যখন খালিফা হাফতার এবং তার বাহিনী চাডের সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন, গাদ্দাফি তাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালেন। এটি খালিফা হাফতারকে সাংঘাতিক বিক্ষুব্ধ করলো। পরবর্তী দুই দশক ধরে তার প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ালো কিভাবে গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করা যায়, সেই চেষ্টা করা। সেসময় খালিফা হাফতার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। সেখান থেকেই চলছিল তার গাদ্দাফি-বিরোধী তৎপরতা। তিনি থাকতেন সিআইএ'র সদর দফতরের খুব কাছে। তার সঙ্গে সিআইএ'র বেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেই মনে করা হয়। গাদ্দাফিকে হত্যার বেশ কয়েকটি চেষ্টায় সিআইএ তাকে সমর্থন দেয়। নির্বাসন থেকে দেশে ফেরা ২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়। খালিফা হাফতার এসময় দেশে ফিরে আসেন। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তবে গাদ্দাফির পতনের পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাফতারের কথা আর তেমন শোনা যায়নি। খালিফা হাফতারের বাহিনীকে ঠেকাতে মিসরাটা থেকে এসেছে সরকারি বাহিনী ২০১৪ সালে হঠাৎ আবার খালিফা হাফতারকে দেখা গেল টেলিভিশনে। সেখানে তিনি তাঁর ভাষায়, জাতিকে রক্ষার এক পরিকল্পনা হাজির করলেন এবং নির্বাচিত পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানালেন। তখনও পর্যন্ত জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস (জিএনসি) নামে পরিচিত লিবিয়ার পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। খালিফা হাফতার এমন এক সময় এই নাটকীয় ঘোষণা দেন, যখন কীনা লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি এবং পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য শহর কার্যত আল কায়েদার সহযোগী একটি সংগঠন 'আনসার আল শরিয়া' এবং অন্যান্য জঙ্গি ইসলামী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে। তারা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল জুড়ে তখন সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করছে, বোমা হামলা চালাচ্ছে। খালিফা হাফতার যে পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছিলেন, সেটি কাজে পরিণত করার মতো যথেষ্ট সমর্থন তার ছিল না। তিনি আসলে তখন লিবিয়ায় যে ব্যাপক জন-অসন্তোষ সেটিরই প্রতিধ্বনি করার চেষ্টা করছিলেন। বিশেষ করে বেনগাজিতে, যেখানে জেনারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছিল। কারণ তারা জঙ্গি ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছিল না। খালিফা হাফতার নিজের এলাকায় জনপ্রিয় হলেও, লিবিয়ার অন্য অঞ্চলে তার তেমন সমর্থন ছিল না। বরং গাদ্দাফির সঙ্গে যে তার একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তিনি যে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের লোক, সেটাই লোকে মনে রেখেছিল। অন্যদিকে, ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোও খালিফা হাফতারকে পছন্দ করতো না। কারণ তিনি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অপারেশন ডিগনিটি লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনাগুলো এখন জেনারেল হাফতারের দখলে ২০১৪ সালের মে মাসে খালিফা হাফতার বেনগাজি এবং লিবিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে ইসলামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। তার এই অভিযানের নাম দেয়া হয় অপারেশন ডিগনিটি। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে লিবিয়ার নির্বাচিত পার্লামেন্ট হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ, যা কীনা জেনারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের জায়গা নিয়েছিল, তারা খালিফা হাফতারকে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির অধিনায়ক নিযুক্ত করে। আরও পড়ুন: গাদ্দাফি কীভাবে মারা গেলেন? ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া গাদ্দাফির শহরটি এখনো ভূতুড়ে নগরী কেন? প্রায় এক বছর ধরে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে বেনগাজির ইসলামী জঙ্গিদের লড়াই চলে। শুরুতে লড়াইয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা বেনগাজির বেশিরভাগ এলাকা থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের মে মাসে তারা আরও সাফল্য পায়। ইসলামী জঙ্গিদের তারা এবার শুধু বেনগাজির উপকন্ঠ নয়, ২৫০ কিলোমিটার পূর্বের ডারনা শহর পর্যন্ত হটিয়ে দেয়। অপারেশন সুইফট থান্ডার গাদ্দাফির বিদায়ের পর লিবিয়ায় চলছে নৈরাজ্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অপারেশন সুইফট থান্ডার শুরু করে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। উদ্দেশ্য ছিল লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনাগুলোর দখল নেয়া। তখন পর্যন্ত এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো 'পেট্রোলিয়াম ফ্যাসিলিটিজ গার্ড' নামের একটি বাহিনি। এই সশস্ত্র বাহিনী ছিল জাতিসংঘের সালিশে গঠিত 'গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একর্ড' বা জিএনএ'র অনুগত। লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব তেল টার্মিনাল এদের কাছ থেকে কেড়ে নেয় হাফতারের নেতৃত্বে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। এর স্বীকৃতি হিসেবে খালিফা হাফতারকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে পদোন্নতি দিয়ে ফিল্ড মার্শাল করা হয়। তবে খালিফা হাফতার নাকি জিএনএ'র কাজ-কর্মে অখুশি ছিলেন। কারণ এই সরকার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল ইব্রাহিম আল বারগাতি বলে এক অফিসারকে। মিসরাটা ভিত্তিক যে মিলিশিয়া বাহিনী, তাদের ওপর খুব বেশি নির্ভর করতো জিএনএ। এই মিলিশিয়াদের সঙ্গে নাকি আবার ইসলামী জঙ্গিদের সম্পর্ক ছিল। এনিয়েও অখুশি ছিলেন খালিফা হাফতার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে লিবিয়ায় একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের জন্য চুক্তি হয়। তাতে বলা হয়েছিল, হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ বা পার্লামেন্ট নতুন সরকার গঠিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে এটিকে অনুমোদন দেবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করেও কোরামের অভাবে এই পার্লামেন্টের কোন অধিবেশন শুরু করা যায়নি। গণমাধ্যমের খবরে তখন এজন্যে দোষারোপ করা হচ্ছিল খালিফা হাফতারকে। তিনি নাকি তার অনুগত পার্লামেন্ট সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্লামেন্টে না যেতে, যাতে করে নতুন মন্ত্রিসভা এই পার্লামেন্টের অনুমোদন না পায়। খালিফা হাফতার অবশ্য বলছিলেন, তিনি পার্লামেন্টের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন। নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে খালিফা হাফতার খুব খোলামেলাভাবে কখনো কিছু বলেননি। তবে ধারণা করা হয়, তিনি নতুন জাতীয় ঐক্যের সেনাবাহিনীতে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখতে চান।
খালিফা হাফতার: লিবিয়ায় ক্ষমতার চাবিকাঠি এখন তার হাতে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
শ্রীলংকার একটি চার্চে নিহতদের স্মরণে প্রার্থনারত এক নারী কলম্বোতে ঘটে গেছে নারকীয় হামলা। শ্রীলংকার আরও অনেক শহর সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত। ঘটনার অল্পক্ষণের মধ্যেই খবর আসতে শুরু করলো। একটি নয়, দুটি নয়, মোট আটটি হামলা। ঘটনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করার পর ঢাকায় বসবাসকারী উদ্বিগ্ন শ্রীলংকান নাগরিকেরা অনেকেই সেদিন একত্রিত হয়েছিলেন। কর্মসূত্রে অনেকদিন ধরে বাংলাদেশে আছেন সিলভারিন ডি সিলভা। তিনি বলছিলেন রোববার দিনভর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন তারা। "আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, খবরটা শোনার পর আমার মাথাটা যেন একেবারে খালি হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যখন আরও খবর পেতে শুরু করলাম, ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে পারলাম, আমাদের বুকটা কষ্টে ভারী হয়ে গিয়েছিলো।" "নিজেদের অসহায় মনে হচ্ছিলো। এরকম সময়ে আমরা যেটা করেছিলাম, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে প্রার্থনা শুরু করেছিলাম।" আশির দশকের শুরুর দিক থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ চলেছিল শ্রীলংকায়। ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের রক্তাক্ত সমাপ্তির পর অবশেষে দেশটিতে শান্তি ফিরে আসে। মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহালিজ ও সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বী তামিল সম্প্রদায়ের মধ্যেই ছিল সেই সংঘাত। প্রিয়জনকে কবর দিয়ে স্বজনদের আহাজারি এই মে মাসেই সেই যুদ্ধ অবসানের দশ বছর পূর্তি হবে। কিন্তু এবারের এই হামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের দিনে মূলত খ্রীষ্টানদেরই টার্গেট করা হয়েছে। কলম্বোর আদি বাসিন্দা দীপ্ত প্রিয়ান্ত কুমারা সেনারত্নে প্রায় তিরিশ বছর ধরে বাংলাদেশে বাস করছেন। পোশাক খাতে কর্মরত মি. সেনারত্নে দীর্ঘ দিনে খুব ভালো বাংলা রপ্ত করে ফেলেছেন। তিনি বলছেন, খ্রীষ্টানদের ওপর কেন হামলা করা হল তাতে অবাক হয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: 'গির্জায় ঢোকার আগে শিশুর মাথা স্পর্শ হামলাকারীর' আগাম সতর্কবার্তা নিয়ে তালগোল শ্রীলংকায়? কতটা উদ্বেগে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা মি. সেনারত্নে বলছেন, "আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। অনেক সিরিয়াস অবস্থা ছিল দশ বছর আগে। পরে সমাধান হয়েছে। সবাই খুশিতেই তাদের দিন চালাত। কিন্তু হঠাৎ এটা শোনার পরে আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। এটা কি হল। কে এগুলো করছে, কেন করছে - শুনে খুব অবাক লাগছে।" শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে রোববারের এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সাথে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত নামে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার কথা ইতিমধ্যেই শোনা গেছে। ২০১৮ সালে সেখানে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে একটি দাঙ্গা হয়েছিলো। কিন্তু এর বাইরে মুসলিমদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবেই এতদিন বসবাস করেছেন সবাই। এই হামলা স্তম্ভিত করেছে শ্রীলংকার জনগণকে এখন এই হামলার পর শ্রীলংকার মুসলিমরা অনেকেই আতঙ্কের পাশাপাশি, তারা লজ্জিত এবং দুঃখিত বলে জানিয়েছেন। সিলভারিন ডি সিলভা বলছেন, তিনি কারো দিকে আঙুল তুলতে চাননা । তিনি বলছেন, "আমরা এই মুহূর্তে কারোর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করতে পারি না। আমরা জানি না হামলার উদ্দেশ্য কি। এখন আমাদের কোন ধরনের জল্পনা কল্পনা করা ঠিক হবে না। আমি বলবো সেটা না করে বরং সরকারকে তাদের কাজ করতে দেয়া উচিৎ যাতে তারা দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে পারে, সমস্যার সমাধান করতে করতে পারে। যাতে করে আমরা শান্তিতে শ্রীলংকায় বসবাস করতে পারি।" কিন্তু শ্রীলংকার সরকার ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। হামলা সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো - সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সিলভারিন ডি সিলভা: 'সবাই একত্রিত হয়ে প্রার্থনা শুরু করেছিলাম' নিয়ানাভতী কডিকারাগে'র জন্ম শ্রীলংকার উত্তর পশ্চিমের কুরুনেগালা শহরে। বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন ১৯৭৮ সালে, আমেরিকান মিশনারি বাবা মায়ের দত্তক সন্তান হিসেবে। এরপর বাংলাদেশেই বিয়ে করেছেন এবং সেই থেকে এখানেই রয়ে গেছেন। তিনি বলছেন, শ্রীলংকায় কোন স্বজনের খোঁজ তার আর জানা নেই। কিন্তু তবু দেশের এই ভয়াবহ খবরে বিমর্ষ বোধ করছেন তিনি। নিয়ানাভতি কডিকারাগে প্রশ্ন তুলছেন আগাম সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা কেন নেয়া হয়নি। তিনি বলছেন, "আমার এরকম ঘটনা কখনো মনে পড়ে না। কেন একটা বিশেষ উৎসবের দিনে খ্রীষ্টানদের টার্গেট করা হয়েছে। আমি যতদূর বুঝেছে, সরকারের কাছে তথ্য দেয়া হয়েছিলো। আমি খুবই অবাক হচ্ছি যে কেনও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি, এরকম একটি ঘটনা ঠেকাতে তারা কেন কোন প্রস্তুতি নেয়নি।" এই প্রশ্নের চুলচেরা বিশ্লেষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় মৃতের সংখ্যা আজও বেড়েছে। অনুষ্ঠিত হয়েছে নিহত অনেকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের আটকের চেষ্টা চলছে। এসব কিছুর মাঝেই শোকে কাতর শ্রীলংকানরা ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলছেন।
শ্রীলংকা হামলা: ঢাকায় শোকস্তব্ধ শ্রীলংকানদের প্রশ্ন - 'এটা কি হলো'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ঢাকার দৃক গ্যালারিতে রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন এখন সব জাতীয় দৈনিকের নিজেদের সাপ্তাহিক রম্য আয়োজন রয়েছে। কিন্তু আগের মত রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র এখন আর তেমন দেখা যায় না। এর কারণ কি? রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদ পত্রিকা, এবছর যার ৪০ বছর পূর্তি হয়েছে, তার সম্পাদক আহসান হাবীব বিবিসি বাংলাকে বলছেন, রাজনৈতিক স্যাটায়ার বা কার্টুন করা এখন কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। "রাজনৈতিক কার্টুন যারা আঁকেন, তারা এখনো আঁকছেন, কিন্তু সম্পাদকেরা সেটা প্রকাশ করছেন না। বাংলাদেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের আরেকটু রিল্যাক্স হওয়া দরকার," বলেন তিনি। কার্টুন প্রদর্শনী উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখছেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বলেন, "যেমন ভারতের মোররজি দেশাই তাকে নিয়ে হওয়া কার্টুন বোর্ডে টাঙিয়ে রাখতেন, ওখান থেকে তিনি শিক্ষা নিতেন।" "আবার কার্টুনিস্টেরও দায়িত্ব আছে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যাবে না। এমন চিত্র করা যাবে না যাতে যার ছবি আঁকলেন সে ক্ষেপে গেল," বলেন তিনি। সংবাদপত্রে স্যাটায়ার প্রকাশ নিয়ে যে কিছুটা চাপ রয়েছে, সেটা কিছুটা হলেও বোঝা যায় যখন বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট এবং একজন সম্পাদক এবিষয়ে বিবিসির সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। সাংবাদিক আবেদ খান এরশাদ সরকারের আমলে নানা ধরনের রাজনৈতিক কার্টুন প্রকাশিত হতো পত্রপত্রিকায়। সেই ধারাবাহিকতা চালু ছিল বেশ কয়েক বছর। কিন্তু বর্তমানে সংবাদপত্রে রাজনৈতিক স্যাটায়ার কমে যাবার পেছনে কারণ কি? সাংবাদিক আবেদ খান বলছেন, এখন সেলফ সেন্সরশিপ বেড়ে যাওয়া এর একটি বড় কারণ। তিনি বলেন, "মানুষের মধ্যে একটা ধারণা হয়েছে যে এখানে বোধ হয় খুব চাপ আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না সেটা আছে। সমস্যা হলো এখন সেলফ সেন্সরশিপ বেড়ে গেছে।" "কিন্তু সুকুমার রায় যখন ননসেন্স ক্লাব করতেন তখনো চাপ ছিল। বাংলাদেশে চাপ তো আগেও ছিল, এরশাদ সরকারের সময় বা জিয়ার আমলে চাপ ছিল না? অনেক চাপ ছিল। কিন্তু তারমধ্যে লোকে একটু একটু করে করেছে, কারণ তখন ভোগবাদী চিন্তা অতটা ছিল না," বলেন মি. খান। কার্টুনিস্ট নাসরিন সুলতানা মিতু উন্মাদকে বলা হয় বাংলাদেশে প্রকাশিত ও দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা রম্য ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো। মে মাসে ম্যাগাজিনটি পূর্ণ করেছে প্রকাশের ৪০ বছর, কিন্তু সেই উদযাপন তারা শুরু করেছে আজ, ঢাকার দৃক গ্যালারিতে। সেখানে তরুণ ব্যঙ্গচিত্র আঁকিয়েদের অনেকে বলছিলেন, বাংলাদেশে কার্টুন আঁকাকে প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নেয়া এখন কঠিন। "সেকারণে কাজের জন্য সমালোচনা হতে পারে ভেবে সতর্ক থাকেন অনেকেই," বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কার্টুনিস্ট নাসরিন সুলতানা মিতু প্রদর্শনী চলবে ৯ই জুলাই পর্যন্ত "কার্টুন করা এখনো খুব অফ-ট্র্যাকের একটি পেশা, ফলে অল্প কিছু লোক আছে এ সেক্টরে। আমি রানা প্লাজা ঘটনার পর একটি কার্টুন করেছিলাম, জিন্সের ওপর রক্তের ছাপ। সেটার জন্য কর্পোরেট হাউজসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। খুব খারাপ সময় গেছে তখন," বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে কার্টুনভিত্তিক রম্য পত্রিকা ম্যাডের আদলে ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল উন্মাদ।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্যাটায়ার করা কি এখন কঠিন?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে ভিআইপি যাতয়াতের জন্য গণপরিবহণে সাধারণ মানুষের হয়রানির ঘটনা নতুন নয় বৃহস্পতিবার মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় নড়াইলের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষ। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেদিন রাতেই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে ঢাকার দিকে রওয়ানা দেন তিতাসের অভিভাবকরা। কিন্তু একজন ভিআইপি আসবেন বলে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ কয়েক ঘন্টা ফেরি পারাপার করতে দেয়নি। দুই ঘন্টার বেশি সময় ফেরি আটকে রাখার পর ভিআইপি পৌঁছালে ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্সটি যেতে দেয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরিটি যাত্রা শুরু করার পর মাঝপথেই মারা যায় তিতাস ঘোষ। নির্ধারিত সময়ে ফেরি না ছাড়ায় অ্যাম্বুলেন্সে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কী হয়েছিল ফেরিঘাটে? তিতাস ঘোষের মামা রাজীব ঘোষ - যিনি তিতাসের মা, বোনসহ সেদিন ঐ অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন - বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা বহুবার অনুরোধ করলেও সেসময় ঘাটে উপস্থিত নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বরত কমকর্তা বা পুলিশ সদস্যরা ভিআইপি ফেরি চলাচল শুরু করতে রাজি হননি। মি. ঘোষ বলেন, "আমরা সাড়ে আটটার কিছু আগে কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ফেরিঘাটে পৌছানোর প্রায় আধঘন্টা পর যখন দেখি যে ফেরি চলাচল হচ্ছে না, তখন সেখানে উপস্থিত লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে ভিআইপি আসবে বলে ফেরি ছাড়া হচ্ছে না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কি কমিয়ে দেখানো হচ্ছে? মিল্ক ভিটার দুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত ধর্ষণের শিকার কিশোরীর 'সন্দেহজনক' দুর্ঘটনা পেঁপে পাতার রস, নারিকেল তেল ডেঙ্গু নিরাময়ে উপকারী? রাজীব ঘোষ জানান, শুরুতে তারা সেখানে উপস্থিত কর্মচারীদের অনুরোধ করেন, তারা ফেরি ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করলে ঘাটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে এবিষয়ে কথা বলেন। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে এ বিষয়ে জানালেও কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি বলে জানান তারা। শুরুতে সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাদের কথা 'গ্রাহ্যই করেনি' বলে অভিযোগ করেন রাজীব ঘোষ। "মুমূর্ষু রোগী আছে বলে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের কাছে আমরা অনুরোধ করি ফেরি ছাড়তে, কিন্তু তারা আমাদের কথা গ্রাহ্যই করেনি।" একপর্যায়ে তিতাসের মা এবং বোন পুলিশ সদস্যদের পায়ে ধরে অনুনয় করলেও কোনো কাজ হয়নি বলে আক্ষেপ করেন মি. ঘোষ। এরপর সাড়ে দশটার দিকে একজন পুলিশ সদস্য এবং ঘাটের দায়িত্বে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য গাড়ি উঠানোর অনুমতি দেন। যেই ভিআইপি'র গাড়িটির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল, সেটিও সেসময় ফেরিতে ওঠে। রাজীব ঘোষ জানান, ফেরি চলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিতাস মারা যায়। কী বলছেন ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা? কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দাবি, যে মুহুর্তে তারা জানতে পারেন যে ফেরির অপেক্ষায় মুমূর্ষু রোগী রয়েছেন, তখনই তারা ফেরি চলাচল শুরু করতে তাগাদা দেন। কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন - যিনি বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে উপস্থিত ছিলেন না - বিবিসি বাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর তিনি ঘাটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের কাছ থেকে জানতে পারেন যে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি তখনই ভিআইপি'র সাথে যোগাযোগ করে ফেরিতে গাড়ি উঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান। সালাম হোসেন বলেন, "রাত ১০টার পর উচ্চমান সহকারী ফিরোজ আলম, যিনি আমার অনুপস্থিতিতে ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন, আমাকে ফোন করে জানায় যে অ্যাম্বুলেন্স ফেরির অপেক্ষায় আছে। আমি তখনই ভিআইপি'কে ফোন করে তার অবস্থান জেনে নিয়ে ফেরিতে গাড়ি ওঠানোর নির্দেশ দেই।" এর আগে সকালে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মি. সালাম হোসেনকে একজন ভিআইপি'কে ফেরি পারাপারের বিষয়ে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন। উচ্চমান সহকারী ফিরোজ আলমও দাবি করেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি প্রথম জানতে পারেন যে ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী রয়েছে। "আমি যখনই জানতে পারি যে রোগী অপেক্ষা করছে ফেরির জন্য, তখনই ব্যবস্থাপক সালাম হোসেনকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে ফোন করে বলেন ফেরিতে গাড়ি ওঠাতে।" একইরকম বক্তব্য দেন ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর গাজী নজরুল ইসলাম। মি. নজরুল ইসলাম বলেন, "রাত দশটা থেকে আমার ডিউটি শুরু হয়। সোয়া দশটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মুমূর্ষু রোগীর দুই আত্মীয় আমাকে ঘটনা বলার সাথে সাথেই আমি দায়িত্বে থাকা ফিরোজ আলমকে এবিষয়ে অবহিত করি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরিতে গাড়ি ওঠানো হয় এবং ফেরি ছেড়ে দেয়।" তবে তিনি ডিউটিতে আসার আগে পুলিশের কাছে এই ঘটনা জানানো হয়েছিল কিনা, সেবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি মি. নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের আগে ঘাটের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার ফোন বন্ধ থাকায় এবিষয়ে তার সাথে কথা বলা যায়নি। আর ঘাটের দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে ভিআইপি চলাচলের কোনো বার্তা ছিল না বলেও নিশ্চিত করেন মি. নজরুল ইসলাম। সামাজিক মাধ্যমে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে? ভিআইপি চলাচলের কারণে ফেরি ছাড়তে দেরি হওয়ায় স্কুলছাত্র তিতাসের মৃত্যুর খবরে ক্ষুদ্ধ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় মানুষের এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হলে অনেকেই নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়ে পোস্ট করেন। ভিআইপি চলাচলের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে বা চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে দেরিতে পৌঁছেছেন - এমন অভিযোগ করেন অনেকেই। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় ভিআইপি চলাচলের কারণে হওয়া ভোগান্তির কথাও উঠে আসে অনেকের পোস্টে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষের করের টাকায় বেতন পাওয়া সরকারি কর্মচারীদের নিজেদের ভিআইপি মনে করার বিষয়টি নিয়ে - যে প্রবণতা বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এর আগেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে। আরো পড়তে পারেন: জনদুর্ভোগ কমাতে কি ভিআইপি সংস্কৃতি বদলাতে হবে?
ভিআইপি'র জন্য ফেরি আটকা, স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পুনে শহরে রেমডেসিভির সংগ্রহের জন্য লাইন। ৮ এপ্রিল, ২০২১ আর এই দুটো জিনিস হল, রেমডেসিভির ড্রাগ আর মেডিক্যাল অক্সিজেন। রেমডেসিভির জোগাড় করার জন্য রোগীর পরিজনরা হন্যে হয়ে ঘুরছেন, সরকার এই ওষুধটির দাম বেঁধে দিয়েও চাহিদা কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অন্যদিকে কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেনের জোগান নিয়ে রাজনীতি, আইন আদালত কিছুই বাদ যাচ্ছে না - হাসপাতালগুলো অক্সিজেন পেতে হিমশিম খাচ্ছে, বহু কোভিড রোগী শুধুই অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। বস্তুত কোভিড রোগীর পরিজনরা একটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে রেমডেসিভির জোগাড় করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কিংবা অক্মিজেন সিলিন্ডার পেতে জুতোর শুখতলা ক্ষইয়ে ফেলেও রোগীকে বাঁচাতে পারছেন না - এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলোই এখন ভারতে সেকেন্ড ওয়েভের 'ডিফাইনিং ইমেজ' বা নির্ণায়ক ছবি হয়ে উঠেছে। আরও পড়তে পারেন: রেমডেসিভির ওষুধের প্রচারণা নিয়ে সতর্ক হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের ভারতে কি করোনা সংক্রমণের 'সেকেন্ড ওয়েভ' আঘাত হেনেছে? 'একটি আইসিইউ বেড পেতে অন্তত ৫০টা হাসপাতালে খোঁজা হয়েছে' রেমডেসিভিরের ভায়াল মুম্বাইতে একাধিক কোভিড হাসপাতালের পরিচালক আফজল শেখ স্বীকার করছেন, "এই ওষুধটির তীব্র আকাল আছে - সহজে মিলছেই না।" "বড় হাসপাতালগুলো কোনওক্রমে পেলেও ছোট হাসপাতালে রেমডেসিভির নেই, সেখানে ভর্তি রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রাস্তায় দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন।" রেমডেসিভির চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে, এই খবর বেরোনোর পর কেন্দ্রীয় সরকার এর দাম বেঁধে দিয়েছে ঠিকই - কিন্তু তাতে জোগান বাড়েনি। ওষুধটি যাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা যায়, তার জন্য ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কেন্দ্রের অনুমতি চেয়ে চিঠিও লিখেছেন। কলকাতার সুপরিচিত চিকিৎসক দ্বৈপায়ন ঘটক বলছিলেন, এই ওষুধটি কতটা কার্যকরী তা একশোভাগ নিশ্চিত না-হলেও রোগীরাই কিন্তু এটি প্রেসক্রাইব করার জন্য ডাক্তারদের জোরাজুরি করছেন। ডা: ঘটক বিবিসিকে বলছিলেন, "এটি একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ। ফার্স্ট ওয়েভে যে রোগীদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রে তাদের রোগের সিভিয়ারিটি বা তীব্রতা কম ছিল।" "তবে এটাকে বড়জোর বলা যেতে পারে একটা ক্লিনিক্যাল ওপিনিয়ন। কেস কন্ট্রোল স্টাডি ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় রেমডিসিভির আদৌ কোভিড রোগীদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে কি না!" ভারতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের নির্দেশিকাও বলছে, রোগীরা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে রেমডেসিভির দিলে হয়তো রোগীর অবস্থার উন্নতি হতে পারে। কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার সাতদিন বা দশদিন পরেও রোগীদের রেমডেসিভির দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের ওপর চাপ আসছে, অনেক ক্ষেত্রে তারা লিখছেনও। ফলে এই ওষুধ বা ইনজেকশনটির চাহিদাও হু হু করে বাড়ছে। এই বহুল আলোচিত ওষুধটি ছাড়াও আর একটি পরিচিত ও সাধারণ চিকিৎসা সরঞ্জাম এখন চাহিদার তুঙ্গে - সেটি হল অক্সিজেন। ব্যাঙ্গালোরের একটি মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র গুজরাটে সুরাট সিভিল হাসপাতালের ড: পারুল ভাডগামা বলছিলেন, "গত বছরের তুলনায় এবার কোভিড রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা অন্তত পাঁচগুণ বেশি।" "ওপিডি-তে যে রোগীরা আসছেন তাদের নব্বই শতাংশই আসছেন স্ট্রেচারে করে - আর তাদের সবারই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।" মুম্বাইয়ের একটি কোভিড হাসপাতালের প্রধান নার্স জানাচ্ছেন, "আমাদের ২৫ বেডের ওয়ার্ডে ৩৩জন ভর্তি আছেন, আর তাদের সবারই অক্সিজেন লাগছে।" "সিলিন্ডার জোগাড় করতে আমাদের কর্মীরা, ওয়ার্ড বয়রা বহু দূর দূর যাচ্ছেন - এদিকে প্রতি ঘন্টায় চারটে করে সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাচ্ছে!" অক্সিজেনের সঙ্কট সরকারকেও বিপদে ফেলেছে - এরই মধ্যে রোগীদের পরিমিত পরিমাণে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলে বিতর্ক বাড়িয়েছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। মুম্বাইয়ের রাস্তায় অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একজন হাসপাতাল কর্মী তার বক্তব্য ছিল, "বহু জায়গায় অক্সিজেনের অপচয় হচ্ছে এবং দরকার না-থাকা সত্ত্বেও রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি।" এদিকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে গত রাতে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর পাঠানো ৬০ টন অক্সিজেনের ট্রাক দুঘন্টা ধরে আটকে রেখে বিজেপি নেতারা পুজোআচ্চা করিয়েছেন, মিডিয়াকে ডেকে ছবিও তুলিয়েছেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর ওই রাজনৈতিক নেতারা যথারীতি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ওদিকে মুম্বাই শহরতলির দর্জি রামবাবুর মেয়ে ললিতা বলছেন, নার্সিং হোমে অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নেওয়াতেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার একই ধরনের অভিযোগ এসেছে মধ্যপ্রদেশের শাহডোল থেকেও, যেখানে ভোররাতে দশজন কোভিড রোগী একসঙ্গে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বলে বলা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা কোভিড রোগীদের নব্বই শতাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে দিল্লির একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক নিদা আহমেদ তার চাচার জন্য অক্সিজেন-ওলা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়ই করতে পারেননি। "অক্সিজেন নেই বলে একের পর এক হাসপাতাল আমাদের গেট থেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে, চাচা চোখের সামনে এক রকম বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন", বলছিলেন নিদা। এরই মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষজন অক্সিজেন মজুত করার চেষ্টা করে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছেন, বলছিলেন দ্বৈপায়ন ঘটক। তার কথায়, "লোকে এখন বাড়িতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছে। হোর্ডিং করছে। যদি পরে লাগে, এই ভেবে যার সুযোগ আছে সেই দুটো সিলিন্ডার বাড়িতে এনে রেখে দিচ্ছে।" থানের একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের স্টক পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা "অনেকে আবার বাড়িতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনেও রেখে দিচ্ছে। আরে বাবা, অক্সিজেনের উৎপাদন তো অফুরন্ত নয় - তার ওপর এভাবে প্যানিক হোর্ডিং করলে আকাল তো হবেই।" "আর একটা জিনিস সাধারণ লোককে বোঝাতে পারছি না ... একজন কোভিড রোগীর মিনিটে কুড়ি লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন লাগতে পারে।" "সেখানে একটা সিলিন্ডারে মাত্র বারোশো লিটার অক্সিজেন থাকে। তো তা দিয়ে কতক্ষণ চালানো যাবে যে মানুষ সিলিন্ডার কিনে রাখছে?" বলছিলেন দ্বৈপায়ন ঘটক। ফলে দ্বিতীয় ধাক্কার কোভিড 'সুনামি'কে ভারতে এভাবেই আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে রেমডেসিভির আর অক্সিজেনের তীব্র আকাল।
করোনা ভাইরাস: সেকেন্ড ওয়েভে যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে দেশী ইঞ্জিনের নৌকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহল (ফাইল ছবি) স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব কাজে উপকূলীয় এলাকাগুলোর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হবে। মন্ত্রী জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এখন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখছে। তিনি বলেন,সাগর পথে মানব পাচারের কাজে এসব জেলে নৌকাগুলো জড়িত থাকে। "নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র দেয়া গেলে, এসব কাজে জড়িতদের সনাক্ত করা সহজতর হবে।" কোস্ট গার্ডের জন্য নতুন জলযান, যন্ত্রপাতি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাচার রোধে উপকূল রক্ষা বাহিনী কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। আজই (মঙ্গলবার) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক বৈঠকে কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে ৪৬৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাহিনীর জন্য নতুন চারটি জলযান ছাড়াও নজরদারির জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতেও পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত দু সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে তিনজন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারী মারা গেছে।
মানব পাচার রোধে জেলেদের আইডি, নৌকার নিবন্ধন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইসরায়েল সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির বিক্ষোভ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছয় সপ্তাহব্যাপী এক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিরা এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি গুলিতে নিহত হয়েছে। আরও প্রায় সাড়ে তিনশো' মানুষ ইসরায়েলি সৈন্যদের চালানো গুলিতে আহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, অন্তত ছ'টি জায়গায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে এবং তারা দাঙ্গায় 'উস্কানিদাতাদের' দিকে গুলি করছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের এই মিছিলের নাম দিয়েছে 'গ্রেট মার্চ টু রিটার্ন' বা নিজের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার মিছিল। সীমান্তের কাছে তারা পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপন করে সেখানে অবস্থান নিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের ভেতরে তাদের ফেলে আসা বাড়ি-ঘরে ফিরে যাওয়ার অধিকার চায়। এক আহত ফিলিস্তিনিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের কাছে পাঁচটি জায়গায় প্রায় সতের হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছে। এরা সেখানে গাড়ির টায়ার জ্বালাচ্ছে এবং সীমান্তের প্রাচীরের দিকে মলোটভ ককটেল ছুঁড়ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহতদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি বালকও রয়েছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই সহিংসতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ বলেছেন, তাঁরা এক ইঞ্চি ফিলিস্তিনি জমিও ইসরায়েলের কাছে ছাড়বেন না। তিনি বলেন, "ফিলিস্তিনের কোন বিকল্প নেই এবং আমাদের ফিরে যাওয়ার অধিকার ছাড়া এই সংকটের কোন সমাধান নেই।" গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে সব সময় ইসরায়েলের কড়া সামরিক পাহারা থাকে। সেখানে ইসরায়েল তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে। ইসরায়েল সীমান্ত অভিমুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মিছিল ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছরের ৩০শে মার্চকে 'ভূমি দিবস' হিসেবে পালন করে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে ছ'জন নিহত হয়। ছ'সপ্তাহ ব্যাপী এই বিক্ষোভ শেষ হবে আগামী ১৫ই মে, যেদিনটিকে ফিলিস্তিনিরা 'নাকবা' কিংবা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৪৮ সালের ঐ দিনে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ফেলে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর। ফিলিস্তিনিরা বহু দশক ধরে ইসরায়েলে তাদের ফেলে আসা বসত বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করছে। কিন্তু ইসরায়েল এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি।
বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলি-গাজা সীমান্ত, গুলিতে নিহত পাঁচ ফিলিস্তিনি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বেইজিং-এ ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে কর্তব্যরত চীনা আধা-সামরিক অফিসার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল গত রবিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দীর্ঘ দুঘন্টা বৈঠক করেছেন। তবে অনেকেই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন সেই বৈঠকের পর চীন ও ভারতের বিবৃতিতে বিরাট ফারাক ছিল, এবং চীনা সৈন্য এখনও প্যাংগং লেকের বিতর্কিত এলাকা থেকে সরার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে যে দ্বিপাক্ষিক কাঠামো আছে, সেখানে দুই দেশের এই দুই 'স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ' নিজেদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে বসেছিলেন রবিবার সন্ধ্যায়। তার ঠিক দুদিনের মাথায়, মঙ্গলবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুপক্ষই সেনা প্রত্যাহার শেষ করেছে – আর এদিন বুধবার সেই একই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে হট স্প্রিং এলাকায় পেট্রল পয়েন্ট ফিফটিনে। আগামী দুএকদিনের ভেতর গোগরা বা পেট্রল পয়েন্ট ১৭এ-তেও দুদেশের সেনারা প্রায় দু কিলোমিটার করে পিছু হঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনায় চীনের বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্বে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই 'দুদেশের সম্পর্কই ভাঙতে বসেছিল' আপাতত এই যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে রবিবারের বৈঠকই কি তার রাস্তা করে দিয়েছিল? ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও চীনে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাও বলছেন, "দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকের ঠিক কী প্রতিফলন বাস্তবে পড়বে তার বিশেষ কোনও ডিটেল কিন্তু আমাদের কাছে নেই।" "সেই প্রক্রিয়াটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ হবে ধরেই নেওয়া যায়।" "তবে মনে রাখতে হবে, এই বৈঠকটা হয়েছে এমন একটা পটভূমিতে যখন দুপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।" "সেখান থেকে এটাকে বড় অগ্রগতি বলতেই হবে, বিশেষত যেখানে ১৫ জুন গালওয়ানের ঘটনার পর দুদেশের সম্পর্কটাই ভাঙতে বসেছিল।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের পেছনে যেসব কারণ লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক বৈঠকে যা ঘটল 'ভারত-চীনের সীমান্ত পুরোটাই মায়া, এলএসি আছে অন্তত চারটে' তিন বছর আগে ডোকলাম সঙ্কট নিরসনেও সক্রিয় ছিলেন অজিত ডোভাল দিল্লি ও বেজিংয়ের আলাদা বিবৃতি রোববারের বৈঠকের পর ভারত ও চীন আলাদা আলাদাভাবে যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতেও কিন্তু দুপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক স্পষ্ট। দিল্লির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিই এ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন যে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি-র মর্যাদা দেবে এবং একতরফাভাবে এমন কিছু করবে না যাতে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু বেজিংয়ের বিবৃতিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা কিংবা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা উল্লেখই করা হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসি-তে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো তানভি মদানের কথায়, "আমি যেভাবে বিষয়টা দেখি – ভারতীয় বিবৃতিতে জোর দেওয়া হয়েছে আগের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর।" "আর চীন চেয়েছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা পুন:স্থাপন করতে। সীমান্ত সমস্যা নিরসনের চেষ্টা হবে, কিন্তু তার পাশাপাশি অন্য জিনিসগুলো নিয়ে চীন এগিয়ে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।" "তবে ভারত প্রযুক্তি ও টেলিকম খাতে চীনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যেগুলো পাল্টানো সম্ভব নয় – কাজেই দুদেশের সম্পর্কে অবধারিতভাবে এগুলোর প্রভাব পড়বে," মি. মদান বলেন।
চীন-ভারত সঙ্কট: কূটনৈতিক বৈঠকে কি সেনা প্রত্যাহার আদৌ নিশ্চিত হয়েছে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
এক রোহিঙ্গা নারী টেলিফোনে কথা বলছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সংস্থা দু'টির ব্যাংক হিসাব বা আর্থিক লেনদেন স্থগিত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকায় থ্রি জি, ফোর জি ইন্টারনেট সেবাও রাতের বেলা বন্ধ রাখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিবিরগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় দফার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে তৎপরতায় উস্কানি দেয়া এবং শিবিরের ভিতরে রোহিঙ্গাদের সমাবেশে আর্থিক সহায়তা করা - এই দু'টি অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসন আদ্রা এবং আল-মারকাজুল ইসলামীর কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করেছিল। সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, এ দুটো সংস্থার কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন জায়গায় আছে। শুধু কক্সবাজারে তাদের কার্যক্রম এবং আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে কক্সবাজারে একটি দেশী এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। এর আগে আরও ৬টি এনজিওর কর্মকাণ্ড সরকার বন্ধ করে দেয়। রোহিঙ্গারা সম্প্রতি এক বড় সমাবেশ করে তাদের কিছু দাবি তুলে ধরেছে। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা শিবিরে বেশ কিছু এনজিও’র তদন্ত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মোবাইল বন্ধের নির্দেশ, সাত দিনের নোটিশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারের ভেতরে আলোচনার পর তারা কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। "আমরা কিছু কিছু অবস্থান নিয়েছি। কিছু কিছু অ্যাকশন হচ্ছে যাতে আমরা আরও সুন্দর করে এটা ম্যানেজ করতে পারি। সেজন্য আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এবং কাজ হচ্ছে।" টেকনাফ এবং উখিয়ায় ৩০টি রোহিঙ্গা শিবিরকে ঘিরে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট থ্রি জি এবং ফোর জি সেবা বন্ধ রাখার জন্য অপারেটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপারেটররা জানিয়েছেন, এসব নির্দেশ বাস্তবায়নের কাজ তারা শুরু করেছেন। এসব ব্যবস্থা নেওয়ার পেছনে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের নাম ব্যবহার করে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মোবাইল ফোনের ৬/৭ লাখ সিম ব্যবহার হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন ধারণা করছে। এগুলো চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে। "২৪ ঘণ্টা আমাদের যৌথ টহল যেটা ছিল, এটা মাঝে একটু কম ছিল, এখন তা আমরা জোরদার করেছি শিবিরের ভিতরে। আমরা ক্যাম্প ইনচার্জ এবং সংশ্লিষ্টদের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক থাকার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করেছি," বলেন মি. হোসেন। রোহিঙ্গা শিবিরে ফোন মেরামতের একটি দোকান। "স্থানীয়দের নামে নিবন্ধন করা মোবাইল সিম রোহিঙ্গারা ব্যবহার করছে বলে অপারেটররা যে বলছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার বিষয়টিও আমরা বের করার চেষ্টা করছি।" রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় দফার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সেসময় রোহিঙ্গারা শিবিরের ভেতরে বড় সমাবেশ করে কিছু দাবি তুলে ধরেছিল। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। সরকার তখন রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগ তুলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল। কক্সবাজারে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একজন কর্মকর্তা শিউলী শর্মা বলছিলেন, "শিবিরগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। তবে রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার ছাড়া মিয়ানমারে যেতে রাজি না হওয়ায় এনজিওদের দোষ দিয়ে খুব একটা লাভ হবে না।" এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের মানবিক সাহায্যের ব্যাপারে যেন কোন সমস্যা না হয়, বাংলাদেশ সরকারের সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে তারা মনে করেন। আরো পড়তে পারেন: ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? ব্রিটেনের ওলট-পালট রাজনীতি নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ঢাকা কি আসলেই বসবাসের অযোগ্য ?
রাতে ইন্টারনেট বন্ধ রোহিঙ্গা শিবিরে, দুটো বিদেশি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
হামলাকারীরা পোডিয়ামের ওপর থাকা সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার প্রচেষ্টা চালায়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের মধ্যে বেসামরিক মানুষও রয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। উনিশশো আশির দশকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে এই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, আক্রমণকারীরা সামরিক উর্দি পড়ে ছিল এবং পাশের একটি পার্ক থেকে কুচকাওয়াজের ওপর গুলি বর্ষণ করে। তারা প্রথমে বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালায় এবং পরে পোডিয়ামের ওপর দাঁড়ানো সামরিক অফিসারদের দিকে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। পুরো ঘটনাটি ঘটতে সময় নেয় প্রায় ১০ মিনিট। ফার্স বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই হামলা শুরু হয়। হামলাকারীরা মোট চার জন ছিল বলে তারা বলছে। হামলায় আহত এক শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দিশেহারা রোগীরা 'আমি হাউজ হাজবেন্ড, অন্য লোকের সমস্যা কেন?' সমকাম বিদ্বেষের কী কোন চিকিৎসা রয়েছে? আহ্ভাজের ডেপুটি গভর্নর আলী হোসেন হোসেনজাদা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী দু'জন অস্ত্রধারীকে হত্যা করেছে এবং অন্য দু'জনকে জীবিত আটক করেছে। নিহতদের মধ্যে ইরানের রেভলুশনারী গার্ডস বাহিনীর আটজন সদস্য এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই আক্রমণের জন্য সুন্নি কিংবা আরব জাতীয়তাবাদীদের দায়ী করেছে। ইরানে গত বছর যে ক'টি শহরে বড় মাপের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল তার মধ্যে আহ্‌ভাজ একটি। ইরানের আরব সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদে মদদ দেয়ার জন্য তেহরান সরকার এর আগে প্রতিবেশী সৌদি আরবকে দায়ী করেছে।
ইরানের সামরিক কুচকাওয়াজে যেভাবে হামলা হলো
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফেসবুকের একই নামে ডোমেইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। ফেসবুকের করা একটি মামলার প্রথম দিনের শুনানি শেষে এমন নির্দেশনা দিয়ে অন্তর্বতীকালীন আদেশ দিয়েছে ঢাকা জেলা জজ আদালত। একই সাথে এ বিষয়ে একটি শোকজ নোটিশও দেয়া হয়েছে ডোমেইনটি রেজিস্ট্রি করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিবিসি বাংলাকে এ খবর জানিয়েছেন ফেসবুকের পক্ষে মামলা দায়েরকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুক ডট কম ডট বিডি নামে ডোমেইনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ চেয়ে গত ২২শে নভেম্বর ফেসবুক একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ৫০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়। ফেসবুক ডট কম ডট বিডি ওয়েবসাইটটি বিক্রির জন্য ৬ মিলিয়ন (৬০ লক্ষ) ডলার দাম হাঁকা হয়েছে। এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় আজ। শুনানিতে ওই ডোমেইনটি যে প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্ট্রেশন করেছে তাকে সেটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহার বন্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। মি. ইসলাম বলেন, এই মামলাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেডমার্ক আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই আদেশের পর মামলাটির বাকি বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। আজ প্রথম শুনানির দিন থাকায় বিরোধী পক্ষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশে ফেসবুক ডট কম ডট বিডি ডোমেইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সেন্টারের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন কিনসি ভোলানস্কি। শনিবার রাতে খেলা হচ্ছিল স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে, দুই ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পারের মধ্যে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার ১৮ মিনিটের মাথায়, ততোক্ষণে মোহাম্মদ সালাহর দেওয়া এক গোলে এগিয়ে গেছে লিভারপুল, বল তখন একেবারে মাঠের মাঝখানে, হঠাৎ করেই দেখাই গেল অর্ধ-নগ্ন এ নারী সেন্টারের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। তার পরনে কালো রঙের সুইমিং কস্টিউম। ফুটবলাররা তখন খেলা বন্ধ করে দিয়ে ওই নারীর দিকে তাকিয়ে রইলেন। আর নিরাপত্তা রক্ষীরাও ওই নারীকে থামাতে তখন ছুটে আসলেন মাঠের ভেতরে। খেলোয়াড়রা বল ফেলে বিস্মিত হয়ে যান। খেলা থামিয়ে দেন রেফারি। সাথে সাথেই নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে তাকে জড়িয়ে ধরে অনেকটা জোর করেই নিয়ে যান মাঠের বাইরে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই নারী একজন মডেল। তার নাম কিনসি ভোলানস্কি। ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। সেখানে তিনি প্রায়শই স্বল্প কাপড় পরিহিত ছবি পোস্ট করে থাকেন। বলা হচ্ছে, ইউটিউব-ভিত্তিক একটি রুশ পর্ণ ওয়েবসাইটের প্রচারণা চালাতেই তিনি অর্ধ-নগ্ন হয়ে খেলা চলাকালে মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। কিনসি ভোলানস্কিকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: কার কী কৌশল? এমপিকে শোকজ, কী হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে? ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শেখাচ্ছেন যে নারী সংবাদ মাধ্যমে আরো বলা হচ্ছে যে, তিনি 'ভাইটালি আনসেন্সর্ড' নামের এক্স রেটেড ওয়েবসাইটের রুশ-আমেরিকান প্রতিষ্ঠাতা ভাইটালি জদরভেতস্কির একজন বান্ধবী। মি.জদরভেতস্কিও একজন পর্ন অভিনেতা ছিলেন। তার কালো সুইমিং কস্টিউমে সাদা রঙ দিয়ে ওই ওয়েবসাইটের নাম লেখা ছিল। জদরভেতস্কিও এর আগে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালের সময় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। সেসময় তার বুকে লেখা ছিল 'ন্যাচরাল বর্ন প্র্যাঙ্কস্টার।' ভাইটালি আনসেন্সর্ড একটি অ্যাডাল্ট ইউটিউব চ্যানেল। ওই চ্যানেলটি দেখা হয়েছে ১৬০ কোটি বার। এই চ্যানেলের অনুসারীও প্রায় এক কোটি। এই ঘটনার পরপরই জেদরভেতস্কি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন যেখানে তিনি লিখেন, "আমার বেবি গার্ল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে দাগ ফেলে দিয়েছে, তোমাকে নিয়ে আমার গর্ব, তুমি আমার সবকিছু।" কিনসি ভোলানস্কিকেও পরে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি সোশাল মিডিয়াতে তার এই মাঠে ঢুকে পড়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "জীবন হচ্ছে যাপন করার জন্যে, আপনি এমন কিছু করুন যা আপনি চিরজীবন মনে রাখবেন।" এই পোস্টের সাথে তিনি তার মঠে ঢুকে পড়ার একটি ভিডিও-ও আপলোড করেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের সময় মাঠে ঢুকে পড়া কে এই স্বল্প-বসনা নারী
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
অনেকেই মাঠে মুশফিকুর রহিমের আচরণের সমালোচনা করেন ওই পোস্টে তিনি ঢাকার দলের খেলোয়াড় নাসুম আহমেদের সাথে একটি ছবি দেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের এই ক্ষমা প্রার্থনা সোমবার ক্রিকেট মাঠে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওই ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যায় যে ফিল্ডিং করার সময় উইকেট-কিপার মুশফিক তার সহ-খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। আর এরপর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় মুশফিকের আচরণ নিয়ে। ফেসবুক পোস্টে এই তারকা খেলোয়াড় বলেন, আমি আমার সতীর্থ নাসুম আহমেদের কাছে ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছি। আমি সর্বশক্তিমানের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী। "আমি বিশ্বাস করি আমার অঙ্গভঙ্গি গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমি কথা দিচ্ছি মাঠে বা মাঠের বাইরে আমি এমন আচরণের পুনরাবৃত্তি করবো না।" সতীর্থের সাথে মারমুখী আচরণের পর ক্ষমা চাইলেন মুশফিকুর রহিম কী হয়েছিল মাঠে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম এলিমিনেটরে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে দেখা যায় দু'বার তিনি তার সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে হাত তুলে মারমুখী ভঙ্গি করছেন। প্রথমবার দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে - সে সময় নাসুমের করা বল সার্কেলের ভেতরে ঠেলে দিয়ে রান নেন ফরচুন বরিশাল দলের আফিফ হোসেন। নাসুম ও মুশফিকুর রহিম দু'জনেই বলটি ধরতে ছুটে যান। এরপর দেখা যায় মুশফিক বল ধরেই মারের মতো ভঙ্গি করছেন নাসুমের দিকে। এরপর তাকে স্ট্যাম্পের পেছনে থাকতে ইশারা করেন মুশফিকুর রহিম। পরে ১৭তম ওভারে আফিফ হোসেন পুল করলে বল শর্ট ফাইন লেগের দিকে বল যায়, মুশফিকুর রহিম বলটি ধরতে দৌঁড় দেন। ওই একই জায়গায় ফিল্ডার ছিলেন নাসুম আহমেদ। তিনিও বলটি ধরতে যান প্রথমে, কিন্তু পরে মুশফিককে দেখে পিছিয়ে যান। তখন মুশফিক ক্যাচটি ধরে নাসুমের দিকে আবারও একই ভাবে মারার ভঙ্গি করেন। এরপর ক্রিকেট ফ্যানরা সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান। বেশিরভাগ সমর্থক তার নিন্দা জানান, তবে তার প্রতি সমর্থনসূচক বাক্যও ছিল অনেক ভক্তের কাছ থেকে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান সফরে যেতে মুশফিকের ওপর চাপ দেয়া হয়নি' বিডার 'সানি লিওন', মুশফিকের ব্যাটের নিলাম নিয়ে কী হচ্ছে? উইকেট রক্ষণে নড়বড়ে মুশফিক, ব্যাটিংয়ে পড়ছে প্রভাব নাসুম আহমেদ বিবিসি বাংলাকে কী বলেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় মুশফিকুর রহিমের সতীর্থ নাসুম আহমেদ এ নিয়ে খুব বেশি খোলাসা করে কিছু বলতে চাননি। তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ম্যাচে কিছুই হয়নি। আমরা খেলেছি, জিতেছি। এর বাইরে যেটা হয়েছে সেটা ম্যাচের মধ্যে রাগের মাথায় হতেই পারে।" "পার্ট অফ দ্য ম্যাচ" - ঘটনাটিকে এভাবেই দেখতে চেয়েছেন নাসুম আহমেদ। তিনি বলেন, এখানে খুব গুরুতর কিছু হয়নি। যা হয়েছে মাঠে এগুলো হয়ই। এর আগে নাসুম আহমেদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও, নির্বাচকদের রেডারে আছেন এই স্পিন বোলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।
মুশফিকুর রহিম: সতীর্থের সাথে মারমুখী আচরণের পর ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ভারতে নারীদের অর্ধেকেরও বেশি ব্যাংক হিসেব অচল দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মঙ্গোলিয়া ও ফিলিপিন্স। ১৪০টি দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট আছে সেটি প্রচলিত ব্যাংকেই হোক আর মোবাইল ব্যাংকিংয়েই হোক। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৯ শতাংশেরই এ ধরনর ব্যাংক হিসেব আছে যা ২০১১ সালে ছিলো ৫১শতাংশ। এ রিপোর্টের তথ্য মতে এক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়েই আছেন, কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাদের ব্যাংক হিসেব আছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৭২ শতাংশ আর নারী ৬৫ শতাংশ। আরও পড়ুন: কূটনৈতিক মেন্যুতে সিঙ্গাপুরে কি খেলেন ট্রাম্প-কিম? বিশ্বকাপ ২০১৮: কীভাবে টিটে ব্রাজিলকে বদলেছেন কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? ২০১১ সালের হিসেবেও নারী পুরুষের ব্যবধান ছিলো একই। তাহলে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার ছয়টি দেশে উল্টো চিত্র এলো কীভাবে? বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ লিওরা ক্ল্যাপার এক্ষেত্রে কিছু ক্লু দিচ্ছেন। তাঁর মতে, ফিলিপিন্সে যেমন অনেক বেশি সংখ্যায় নারীরা দেশের বাইরে যাচ্ছেন কাজে এবং তাদের ব্যাংক হিসেব আছে। পরিবারকে সহায়তা করতে এসব নারীরা প্রচুর অর্থ পাঠান রেমিটেন্স হিসেবে। ফিলিপিন্সের প্রচুর নারী বিদেশ থেকে দেশে নিজেদের ব্যাংক হিসেবে টাকা পাঠিয়ে থাকেন আবার ছয়টি দেশেই (লাওস ছাড়া) সরকারি নানা কর্মসূচিতে নারীরা নগদ অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যে অর্থ তাদের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়। মঙ্গোলিয়াতে যেমন ৪৩ শতাংশ নারী এমন অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যেখানে দেশটির ২৪ শতাংশ পুরুষ এমন সহায়তা পায়। ইন্দোনেশিয়ায় বছরে অন্তত একবার অর্থ জমা কিংবা প্রত্যাহার সচল থাকা ব্যাংক হিসেব গুলোতে নারী ও পুরুষের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। যদিও অন্যভাবে দেখলে একটি কারণে নারীদেরই বেশি ব্যাংক হিসেব হবে কারণ কিছু সরকারি কর্মসূচি থেকে তারা অর্থ পেয়ে থাকে। কিন্তু এসব কর্মসূচিগুলো থেকে টাকা উত্তোলনের পর অনেকেই আবার এ ধরণের ব্যাংক হিসেবগুলো বন্ধ করে দেন। তবে এখানে অন্য আরেকটি বিষয়ও আছে। সেটি হলো ফিলিপিন্স ছাড়া অন্য দেশগুলোতে সচল থাকা হিসেবের সংখ্যায় নারীরা যে পুরুষের চেয়ে বেশি হবে সেটি নয়। ভারত যেমন ব্যাংক হিসেব খোলার ক্ষেত্রে লিঙ্গ পার্থক্য অনেকটা কমিয়ে এনেছে কিন্তু নারীদের নামে থাকা ব্যাংক হিসেবে অন্তত অর্ধেক নিষ্ক্রিয়। আর এটিকেই ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন লিওরা ক্ল্যাপার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ব্যাংক মালিকরা জনগণের টাকায় ছিনিমিনি খেলেছেন' ঈদের বাজারে জাল নোটের ঝুঁকি, কীভাবে চিনবেন? ব্যাংকিং খাতে কি যোগ্য নেতৃত্বের অভাব চলছে? করপোরেট কর কমলে ব্যাংকঋণের সুদের হার কমাবে?
ছয়টি দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেশি হলো কীভাবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে রাস্তায় পুলিশকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে স্কাউট-রোভাররা প্রতিবছরের মত এবারও বাংলাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহে পুলিশের পাশাপাশি রোভার ও স্কাউটদের রাস্তায় দেখা যায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে। স্কুল কলেজে পড়া এই রোভার ও স্কাউটদের দেখা যায় গণপরিবহনগুলোকে রাস্তায় নিয়মমাফিকভাবে যাত্রী তোলা ও থামানোর বিষয়ে নির্দেশনা দিতে। পাশাপাশি পথচারীরা যেন রাস্তায় চলাচলের নিয়ম মানে সেবিষয়েও নির্দেশনা দিচ্ছিলেন স্কাউটরা। পথচারীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন স্কাউট মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে ট্রাফিক আইন মানতে বেশী অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তবে এবিষয়ে স্কাউটদের অধিকাংশেরই মত ছিল ভিন্ন। তারা বলছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা প্রবল। পথচারীদের আইন না মানার প্রধান কারণ সময় বাঁচানোর চেষ্টা এবং অলসতা বলে মন্তব্য করেন স্কাউটরা। মমিনুর নামের একজন স্কাউট বলেন, "নিয়ম মেনে একটু বেশী হেঁটে গিয়ে কিছুটা বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে রাজী হন না অধিকাংশ পথচারীই।" আরো পড়ুন : বিআরটিএ চিত্র: আন্দোলনের পর বিবিসির চোখে পাঠ্যবইয়ে ট্রাফিক নিয়মের পাঠ কতটা আছে? নিরাপদ সড়ক: ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোন পরিবর্তন এসেছে? কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? পথচারীদের আইন না মানর প্রবণতা প্রবল বলে মন্তব্য করেন স্কাউটরা যারা ট্রাফিক আইন ভাঙে তাদের অনুসরণ করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে থাকলেও নিয়ম মেনে চলা মানুষদের খুব কম সংখ্যক লোকই অনুসরণ করে বলে মন্তব্য করেন মি. মমিনুর। নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা তৈরী করলেও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন স্কাউটদের অধিকাংশই। সুহার্তো নামের একজন রোভার বলেন, "আজ সারাদিন যতজনকে ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হতে অনুরোধ করেছি বা নির্দিষ্ট জায়গায় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি, তাদের বেশীরভাগই আমাদের কথা শোনেনি।" আরেকজন রোভার জানান, শাস্তির ভয় দেখানোর আগ পর্যন্ত প্রায় কেউই আইনের পরোয়া করেন না। সবচেয়ে বেশী হতাশা ছিল থিওটোনিয়াস নামের একজন রোভারের কন্ঠে। তিনি বলেন, "আমরা এখানে আছি, মানুষজনকে অনুরোধ করছি বলে মানুষ তাও কিছুটা আইন মানছে। দুই মিনিট আমরা না থাকলে দেখেন কি অবস্থা হয়। আবার আগের মত অবস্থা হবে।" ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা করতে রাস্তায় নামা কিশোর স্কাউটদের মতে, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানানো সহজ নয়, বলছেন স্কাউটরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
৩০ বছর ধরে সুদানের ক্ষমতায় ছিলেন ওমর আল-বশির টেলিভিশন ঘোষণায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবনে ওউফ নিশ্চিত করেছেন যে, আল-বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক কাউন্সিল দুই বছরের জন্য দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। একটি নির্বাচন আয়োজন করা হবে তাদের দায়িত্ব। তিনমাসের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা এবং একমাসের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ওমর আল-বশিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। কয়েক দশকের যুদ্ধ আল-বশিরের রাজনৈতিক জীবনকে যুদ্ধ দিয়েই সবচেয়ে ভালোভাবে বর্ণনা করা যায়। ১৯৮৯ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেছেন। ২০১১ সালে বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ সুদানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত এই দেশটি ছিল আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ। আরো পড়ুন: সুদান: মিসরের চেয়ে বেশি পিরামিড যে দেশে মৃত্যুদণ্ড: বিশ্বের কতগুলো দেশে এখনো চালু আছে দারফুরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে মি. বশিরের বিরুদ্ধে যখন তিনি ক্ষমতা দখল করেন, সুদান তখন উত্তর আর দক্ষিণের মধ্যে ২১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। মি. বশির শক্ত হাতে জবাব দিতে শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে দমন পীড়ন এবং যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তার বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে দুইটি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করা হয়। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও তিনি ২০১০ ও ২০১৫ সালের দুইটি নির্বাচনে বিজয়ী হন। তার সর্বশেষ নির্বাচন বিরোধীরা বর্জন করে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে তার ওপর আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়। তারপরেও মি. বশির মিশর, সৌদি আরব আর দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেন। ২০১৫ সালের জুনে তিনি অনেকটা বিব্রতকর ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন, কারণ দেশটির একটি আদালত বিবেচনা করছিল যে, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি কার্যকর করা হবে কিনা। এই নারী কি সুদানের বিক্ষোভের প্রতীক? একীভূত সুদান ক্ষমতা গ্রহণের আগে সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডার ছিলেন মি. বশির। তিনি বিদ্রোহী নেতা জন গ্যারাঙ্গের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অভিযান পরিচালনা করেন। যখন তিনি সুদানিজ পিপলস লিবারেশন মুভমেন্টের পক্ষে গ্যারাঙ্গের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন, তখন তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন যাতে চুক্তিটি পরাজয় বলে মনে না হয়। তিনি বলেছিলেন,'' আমরা অসহায় হয়ে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি, বরং আমরা যখন বিজয়ের শীর্ষে ছিলাম, তখনি তাতে স্বাক্ষর করেছি।'' তার সবসময়েই লক্ষ্য ছিল একটি একীভূত সুদান রক্ষা করা, কিন্তু শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে দক্ষিণ সুদানের বিষয়ে একটি গণভোট আয়োজন করতে বাধ্য হন। ২০১১ সালের জানুয়ারির গণভোটে ৯৯ শতাংশ দক্ষিণ সুদানিজ ভোটার আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেন। ছয় মাস পরে স্বাধীন দক্ষিণ সুদান ঘোষিত হয়। যখন তিনি দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষে সম্মত হন, তখনো দারফুরের প্রতি তার মনোভাব ছিল আগ্রাসী। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নুসরাত জাহান: যে মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সবাইকে জুলিয়ান আসঞ্জ: সত্যানুসন্ধানী, নাকি প্রচারকামী ? ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে জানলে কী করবেন? 'রোগে-শোকে নয়, শিশুরা বেশি মরছে পানিতে ডুবে' ২০০৯ সালে উত্তর দারফুরে একটি অনুষ্ঠানে মি.বশির কিন্তু কৃষ্ণাজ্ঞদের ওপর নির্যাতনের কারণে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আরব জানহাওয়েড মিলিশিয়াদের তিনি সমর্থন করেছেন বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেসব অভিযোগ করেছে, তা তিনি বরাবরই অস্বীকার করে গেছেন। ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে আইসিসির যেসব অভিযোগ রয়েছে, তার মধ্যে আছে গণহত্যা, হত্যা, জোর করে বাস্তুচ্যুত করা, ধর্ষণ, নির্যাতন, দারফুরে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা, গ্রাম ও শহরে লুটতরাজ করা। সামরিক মনোভাব মি. বশিরের জন্ম হয় ১৯৪৪ সালে উত্তর সুদানের একটি খামারি পরিবারে। সে সময় সেই এলাকাটি ছিল মিশরীয় রাজত্বের অংশ। তিনি একটি বেদুইন গোত্রের সদস্য ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি মিশরীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৩ সালে ইসরায়েলে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর কর্মকর্তা পদে উন্নীত হন। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কমই জানা যায়। তার কোন সন্তান নেই এবং ৫০ বছর বয়সের দিকে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তিনি সুদানের উত্তরের যুদ্ধ বীর হিসাবে পরিচিত ইব্রাহিম শামস আল-দ্বীনের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন। সুদানের এই নেতার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সামান্যই জানা যায় সংকট ও বিক্ষোভ সম্প্রতি দেশটিতে রাজনৈতিক বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ওঠে। সরকার তেল ও রুটির দাম বাড়ানোর পর তার ৩০ বছরব্যাপী শাসনামলের মধ্যে গত ডিসেম্বরে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ শুরু হয়। গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিকভাবে সংকটে ভুগছে সুদান, বিশেষ করে দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর। কারণ দেশের মোট উত্তোলিত তেলের চারভাগের তিনভাগই রয়েছে দক্ষিণ সুদানে। মুদ্রামান করে যাওয়া ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে দেশের মানুষজন। মি. বশিরের শাসনামলে দেশটি ২০১৮ সালের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭২ নম্বরে রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে খার্তুমে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সর্বশেষ প্রতিরোধ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি এক বছর মেয়াদি জরুরি অবস্থা জারি করেন মি. বশির। তার মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনেন এবং দেশের সব স্টেট সরকারের গভর্নরদের সরিয়ে দিয়ে সেখানে সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বসিয়ে দেন। কোন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিও নাকচ করে দেন। তার দাবি, বিক্ষোভকারীরা ২০২০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে সরিয়ে দিতে পারবে। বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ৩৮জন মানুষ নিহত হয়েছে, যদিও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, তারা সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে যাচ্ছে। কিন্তু এটা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয় যে, সামরিক বাহিনী সুদানের স্থায়ীভাবে থেকে যেতে চাইবে কিনা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা চান না, একজন কর্তৃত্ববাদী শাসকের বদলে আরেকজন সেইরকম শাসক ক্ষমতায় আসুক। সুতরাং যখন মি. বশিরের পতনে আনন্দ করছে সুদানের লোকজন, তখন ভবিষ্যতে কোন শাসক আসছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগও রয়েছে।
ওমর বশির: যেভাবে সুদানের ৩০ বছরের শাসকের উত্থান ও পতন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ঢাকায় এমন দৃশ্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা কেজি মুস্তাফা বলছেন তাতে তার তেমন কোন লাভ নেই। মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগে ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ও তার বেশ কিছু আত্মীয়। আরো অনেকের মতো তিনিও একই ধরনের উপসর্গ বর্ণনা করলেন। ঢাকা শহরে এখনকার সময়ের আতঙ্কের নাম এডিস মশাবাহিত এই চিকুনগুনিয়া রোগ। বলা হচ্ছে রোগটি এখন ঢাকার সবচেয়ে বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর বলছে ২০০৮ সাল থেকে চিকুনগুনিয়া রোগটি বাংলাদেশে শনাক্ত হলেও, চলতি বছরই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। সংস্থাটি বলছে ঢাকার ২১টি এলাকায় এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যেহেতু মশা থেকেই এর উপদ্রব তাই মশা নিধনে কার্যক্রমটাই জরুরী ছিলো। কিন্তু সে নিয়ে ঢাকায় বহু মানুষের নগর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মি: মুস্তাফা বলছেন মশা নিধনের উদ্যোগ কাছাকাছি সময়ে তিনি এই প্রথম দেখছেন তাও মোটে একবার ঔষধ ছড়ানোর কাজ। তিনি বলছেন, "এই মাত্র কয়দিন আগে দেখলাম একবার ঔষধ দিয়ে গেছে। এর আগে সর্বশেষ যে কতদিন আগে দিছে মনেই করতে পারি না"। ঢাকায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রতি বছরই দেখা যাচ্ছে এডিস মশা বাহিত আর এক রোগ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপও। আর ঢাকার আরেক বাৎসরিক উপদ্রবের নাম ডায়রিয়া। আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ডা: মুস্তাক হোসেন বলছেন, "ঢাকাতে বর্ষার শুরুতে এবং শেষে ডাইরিয়ার প্রকোপ থাকে। বর্ষার সাথে সাথে এডিস মশার বিস্তারের কারণে ডেঙ্গু থাকে। এখন চিকুনগুনিয়া দেখা দিচ্ছে। এছাড়া খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ পেটের পিড়া, জন্ডিস বা টাইফয়েড সেগুলোও রয়েছে। এগুলো সারা বছরে আমরা রিপোর্ট পাই"। তিনি বলছেন, এসব অসুখের উপর নিয়মিত নজরদারি সিটি কর্পোরেশনগুলোর এখনো গড়ে ওঠেনি। এভাবে বেড়ে ওঠা শহর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে কতটা প্রস্তুত? সেই দুর্বলতার একটা বড় চিত্র পাওয়া যায় ঢাকার বস্তি এলাকায় গেলে। ঢাকার সবচেয়ে বড় বস্তি এলাকা কড়াইলে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে চিকুনগুনিয়া রোগী ঘরে ঘরে। কিছুদিন আগে ছিলো ডাইরিয়ার প্রকোপ। জোবেদা বেগম নামে এক বাসিন্দা বলছিলেন, "মেয়র পারলে আমাদের তাড়াইয়া দেয়। আমাদের মশা কামড়ায়, কুকুরে কামড়ায়, পানিতে ময়লা। সেই পানি খাই। সরকার আমাদের দেখে না"। জোবেদা বেগমের কন্ঠে স্পষ্ট ক্ষোভের সুর। কড়াইল বস্তিতে ছোট ছোট খুপরি ঘরগুলোর মাঝখান দিয়ে কাদা মাখানো সরু গলি। শেষ মাথায় কোনোরকমে বসা যায় এমন দুটো টয়লেট। যার ভেতরে চোখ গেলে গা গুলিয়ে ওঠে। আর এক বাসিন্দা জসীম উদ্দিন দেখাচ্ছিলেন তাদের টয়লেটগুলোর করুন অবস্থা। তার অংশে হাজার খানেক লোকের জন্য দুটো টয়লেট। যা তারা নিজেরাই বানিয়েছেন। টয়লেটের বর্জ্য যাওয়ার জন্য নিজেরাই পাইপ বসিয়েছেন। এই এর বর্জ্য যে কোথায় যায় সেনিয়ে তার কোন ধারনাই নেই। মলমূত্র নিষ্কাশনে তাদের জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। পৃথিবীর যে কোন শহরে নানা অসুখের উৎস এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নগর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব মতে ঢাকার মলমূত্রের মাত্র দুই শতাংশ নিরাপদ নিষ্কাশন হয়। বাদবাকি পুরোটাই আবারো মিশে যায় প্রকৃতিতে আর তারপর পানির উৎসে। ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস ও ইউনিসেফের তথ্যমতে ঢাকায় সরবরাহকৃত পানির দুই তৃতীয়াংশে মলবাহিত জীবাণু পাওয়া যায়। আর এটি ঢাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির একটি। যার ফল হলো ঢাকা শহরে বছরে দুবার ডায়রিয়ার উপদ্রব দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করছেন ব্যাপক সমালোচনার চাপে মাত্র শুরু হয়েছে কিছু ঔষধ ছিটানোর কাজ। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কাজ করে ওয়াটার এইড। সংস্থাটির কান্ট্রি ডাইরেক্টর খাইরুল ইসলাম বলছেন ঢাকায় সাধারণ মানুষজনের কাছে যে পানি পৌঁছায় তার অবস্থা শেষমেশ নিরাপদ নয় কেন? তিনি বলছেন, "প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটা অন্যতম উপাদান হচ্ছে পানি, পয়:নিষ্কাশন এবং পরিচ্ছন্নতা। পানি সরবরাহের দিক থেকে আমরা অনেকটা এগোলেও ভোক্তা পর্যায়ে যে পানি পৌঁছায় তার মান খুবই খারাপ। তার একটা বড় কারণ হচ্ছে আমরা স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাল করতে পারিনি। তাই একটু বৃষ্টি হলেই সুয়ারেজ, ড্রেন আর পাইপের পানি সব একাকার হয়ে যায়। নিয়মিত খোঁড়াখুঁড়িও এই মিশ্রণের জন্য দায়ী" । তিনি আরো বলছেন, ঢাকার নিম্নবিত্তদের কাছে একেবারেই পৌঁছায়নি স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর ঢাকায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সময়মত প্রস্তুতি এবং শহরের নাগরিক সুবিধার অবকাঠামোগত চরম দুর্বলতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনকে। যেমনটা বলা হচ্ছে গত বছরের ডিসেম্বরে চিকুনগুনিয়ার প্রথম প্রাদুর্ভাব হলে বৃষ্টি শুরুর আগে সে নিয়ে কিছুই করেনি নগর কর্তৃপক্ষ। অনেকেই অভিযোগ করছেন ব্যাপক সমালোচনার চাপে মাত্র শুরু হয়েছে কিছু ঔষধ ছিটানোর কাজ। এসব সমালোচনা অবশ্য মানছেন না দুই সিটি কর্পোরেশনের কেউই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলছেন তাদের কার্যক্রম সারা বছরই চলে। তিনি বলছেন, "আমাদের একটা ওয়ার্ডে চারজনের মতো মশা নিধন কর্মী রয়েছে। তারা সকালে হয়তো লার্ভিসাইড দেয় আবার বিকেলে হয়ত ফগিং করা হয়। তাই হয়তো অনেকের চোখে পড়ে না। কর্মচারীদের হয়ত কিছু অবহেলা থাকতে পারে। সেটা পুরো অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু কাজ সারা বছরই চলে"। কিন্তু তাতে কতটা সমন্বয় আছে? ২০১১ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুভাগে ভাগ করার ফলে ঢাকায় এখন দুজন মেয়র। সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবার ম্যানডেটের আওতায় রয়েছে নগর মাতৃসদন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ। কিন্তু সেই কাজটি হচ্ছে স্থানীয় সরকারের অধীনে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে মূল স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্বে। সেই সাথে ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে রাজউক, ওয়াসাসহ আরো অনেকগুলো সংস্থার কাছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা এস এম সালেহ ভুঁইয়া বলছেন, অনেক সংস্থার সমন্বয় না থাকাটাই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলছেন, "ঢাকা বিশ্বের সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এই শহর খুব অপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে। ঢাকায় রাজউক, ওয়াসা বা সিটি কর্পোরেশন এসব সংস্থাগুলোর সমন্বয় নেই। দেখা যাচ্ছে যেখানে একটা ড্রেন আছে সেটা কোথায় যাচ্ছে তা জানি না। আবার কোন ড্রেনের মালিক কোন সংস্থা, কে কোথায় কখন পরিষ্কার করবে সেটারও একটা সঠিক সক্ষমতা নেই। কিন্তু এখন চেষ্টা চলছে"। এই সমন্বয় আনতে আর কতদিন লাগবে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না কারো কাছেই। তাই মশার কামড়ে জ্বর, দূষিত পানিতে পেটের অসুখ, ময়লার গন্ধে দুর্বিষহ জীবন ঢাকাবাসীর নিত্য দিনের অভিজ্ঞতা। আর এভাবেই জনস্বাস্থ্যের চরম দুর্বলতা নিয়েই আরো বড় হচ্ছে ঢাকা শহর।
ঢাকায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সিটি কর্পোরেশন কি ব্যর্থ?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মি. নাভালনি বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তার মুখপাত্র জানাচ্ছেন তিনি বলছেন তাদের সন্দেহ মি. নাভালনির চায়ে কিছু মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে তার অবস্থা স্থিতিশীল তবে সঙ্কটজনক। চুয়াল্লিশ বছর বয়স্ক মি. নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক ছিলেন। জুন মাসে সাংবিধানিক সংস্কারের ভোটকে তিনি একটা "অভ্যুত্থান" বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওই সংস্কার "সংবিধানের লংঘন"। ওই সংস্কারের ফলে মি. পুতিন আরও দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। চায়ের সাথে বিষ? মি. নাভালনি ২০১১ সালে যে দুর্নীতি বিরোধী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কিরা ইয়ারমিশ তার তথ্য সচিব। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন: "আজ সকালে মি. নাভালনি টোমস্ক শহর থেকে মস্কোয় ফিরছিলেন। "ফ্লাইটে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানটিকে ওমস্ক শহরে জরুরি অবতরণ করতে হয়। অ্যালেস্কেই-কে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।" তিনি আরও বলেন: "আমাদের সন্দেহ তার চায়ের সাথে কোনরকম বিষ মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি সকাল থেকে ওই চা ছাড়া আর কিছু খাননি। "চিকিৎসকরা বলছেন বিষাক্ত পদার্থ গরম পানীয়ের মাধ্যমে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি এখন হাসপাতালে অচেতন।" ওমস্কের জরুরিকালীন হাসপাতাল যেখানে মি. নাভালনি চিকিৎসাধীন মিস ইয়ারমিশ পরে টু্‌ইট করে জানিয়েছেন যে মি. নাভালনিকে ভেন্টিলেটারে রাখা হয়েছে এবং তিনি কোমায় আছন্ন। হাসপাতালে এখন প্রচুর পুলিশ রয়েছে। তিনি বলেন চিকিৎসকরা প্রথম দিকে তাদের সাথে তথ্য শেয়ার করছিলেন, কিন্তু এখন তারা বলছেন বিষ সংক্রান্ত পরীক্ষা করতে দেরি হবে। "তারা এখন কাল ক্ষেপণ করতে চাইছে। এবং তারা যা জানে সেটা আমাদের বলছে না।" তিনি স্থানীয় সময় দুপুর ২:৫৮-তে (গ্রেনিচ মান সময় সকাল ৮:৫৮) টুইট করে বলেন মি. নাভালনির অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি এখনও অচেতন। 'বিষ প্রয়োগ নিশ্চিত নয়' তাস বার্তা সংস্থা ওমস্ক জরুরিকালীন হাসপাতালের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে: "অ্যালেক্সেই আনাতোলেইভিচ নাভালনি - জন্ম ১৯৭৬। পয়সনিং ইনটেনসিভ কেয়ার।" তবে হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় ডাক্তার পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে মি. নাভালনিকে বিষ দেওয়া হয়েছে কি না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও "স্বাভাবিক বিষক্রিয়া" হয়ে থাকতে পারে এমন একটি ধারণা করা হচ্ছে। ওই ডাক্তার আনাতোলি কালিনিচেঙ্কো বলেছেন মি. নাভালনির অবস্থা স্থিতিশীল, যদিও তার অবস্থা গুরুতর। প্রাণ সংশয় আছে কি না সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মি. নাভালনিকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি নাভালনি কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন? সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে বিক্ষোভ বিমানবন্দরের রানওয়েতে মি. নাভালনিকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার ভিডিওএকজন সামাজিক মাধ্যমে দেখছেন আরেকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের ভেতর মি. নাভালনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। বিমানের যাত্রী পাভেল লেবেদেফ বলছেন: "বিমান যাত্রার শুরুতেই তিনি টয়লেটে যান এবং ফিরে আসেননি। তিনি খুবই অসুস্থ বোধ করছিলেন। তারা তাকে সাহায্য করতে পারছিল না। তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন।" সোশাল মিডিয়ায় আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মি. নাভালনি টোমস্ক বিমানবন্দরের একটি ক্যাফেতে বসে এক কাপ কফি খাচ্ছেন। ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা বলছে ক্যাফের মালিক দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখছেন সেখান থেকে কোন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় কিনা। কে এই অ্যালেক্সেই নাভালনি? সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করে দেবার মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে তার নাম উঠে আসে। তিনি মি. পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া দলকে উল্লেখ করেছিলেন "অসৎ ও চোরেদের দল" বলে, এবং বেশ কয়েকবার তাকে জেলে যেতে হয়েছে। মি. পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া সংসদীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপি করেছে বলে প্রতিবাদ করার পর তাকে ২০১১ সালে ১৫ দিনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। মি. নাভালনিকে ২০১৩র জুলাইয়ে তছরূপের অভিযোগ অল্পদিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়, তবে তিনি বলেন এই দণ্ডাদেশ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি ২০১৮র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রতারণার দায়ে তিনি আগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই কারণ দেখিয়ে তাকে প্রার্থিতা দেয়া হয়নি। মি. নাভালনির মতে এটাও ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জুলাই ২০১৯য়ে মি. নাভালনিকে আবার কারাগারে পাঠানো হয় অননুমোদিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠনের জন্য। কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা বলেন তার "কোন কিছুর স্পর্শ থেকে চামড়ার প্রদাহ" হয়েছে। কিন্তু মি. নাভালনি বলেন তার কোনদিন কোন কিছু থেকে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আগে হয়নি। তার নিজের চিকিৎসক বলেন তিনি "কোন বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে'' এসেছিলেন। মি. নাভালনিও বলেছিলেন তার ধারণা তাকে বিষ দেয়া হয়েছে। মি. নাভালনির ওপর ২০১৭ সালে অ্যান্টিসেপটিক রং দিয়ে হামলা চালানো হলে তার ডান চোখ রাসায়নিক থেকে গুরুতর পুড়ে যায়। গত বছর তার দুর্নীতি বিরোধী ফাউন্ডেশনকে সরকারিভাবে "বিদেশি গুপ্তচর সংস্থা" বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে এই সংস্থার কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কঠোর নজরদারি শুরু করে।
ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিপক্ষ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এটি সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনে আক্রান্ত হলেও আরো ৩০টি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণা যেটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। "শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বিরল," গবেষকরা বলেন। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? শিশুরা কি এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রতি বেশি প্রতিরোধী? শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কম এনিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে কিন্তু শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে না এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই। "কারণ আসলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না," বিবিসিকে একথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস। এর অর্থ হচ্ছে শিশুরা রোগটিতে খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যার কারণে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আর এ কারণেই তারা চিকিৎসকের কাছে যায় না এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করারও দরকার হয়না। এবিষয়ে সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট। "পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ ভাবে কাজ করে," তিনি বলেন। "তারা হয়তো আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা বেশ মৃদু বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোন উপসর্গ থাকে না।" শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের এই নিম্নহার এর আগেও দেখা গেছে। সম্প্রতি ২০০৩ সালে চীনে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ৮০০ মানুষ মারা গেলেও তখনও শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম ছিল। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল(সিডিসি) এর বিশেষজ্ঞরা ১৩৫ জন শিশু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুঁজে পান। কিন্তু তখন "শিশু ও কিশোরদের মধ্যে একজনও মারা যায়নি" বলে জানান তারা। নতুন চন্দ্র বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ থাকার কারণেই কি শিশুরা ভাইরাসে তেমন আক্রান্ত হয়নি? নববর্ষের ছুটি কি শিশুদের রক্ষা করেছে? ম্যাকডারমট আরো মনে করেন যে, প্রাপ্তবয়স্করা যেভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে শিশুরা হয়তো সেভাবে ততটা সংস্পর্শে আসেনি। কারণ প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চীনের নতুন বছরের ছুটির সময় যখন স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। চীনের প্রায় সবগুলো প্রদেশেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং অনেক স্কুল পুরো ফেব্রুয়ারি মাস বন্ধ থাকবে। "প্রাপ্তবয়স্করা বাড়িতে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখে।" তিনি মনে করেন যে এই চিত্র পাল্টে যেতে পারে কারণ "রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসের সংস্পর্শে আশার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।" যাইহোক, কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়লেও সেই হারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা বাড়েনি। এখানেও সার্সের প্রাদুর্ভাবের উদাহরণ টানা যায়: সিডিসির গবেষকরা যারা শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা বলছেন যে, ১২ বছরের কম বয়সীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন কম হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। শিশুদের তুলনায় কি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হয়? যদিও কম সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে, তারা আসলে আক্রান্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আরো সম্ভাব্য বিশ্লেষণটি হলো, এই প্রাদুর্ভাব হয়তো সেই রোগগুলোর মধ্যে একটি যা শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করে, যেমন জলবসন্ত। "শিশুদের হয়তো কোনভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে-এমন ধারণার তুলনায় এটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি," বিবিসিকে একথা বলেন অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান যিনি কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, "এটা এ কারণেও হতে পারে যে, কর্তৃপক্ষ হয়তো যাদের উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে পরীক্ষাই করছে না।" হংকংয়ে সার্স প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের স্ট্যাটিস্টিকাল এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ ক্রিসেল ডনেলি। "আমার সহকর্মীরা যে বিষয়ে একমত হয়েছি তা হলো কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব তেমন আগ্রাসী হয়না- যার কারণে তারা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে না।" করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাসিন্দা। আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত যেসব প্রাপ্তবয়স্করা আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল- যেমন ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তরা এই প্রাদুর্ভাবের সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকে। "নিউমোনিয়া(করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি) তাদেরকেই বেশি আক্রান্ত করে যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কারণ তাদের স্বাস্থ্য এমনিতেই খারাপ কিংবা তারা হয়তো তাদের জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছে," ইয়ান জোনস বলেন। "ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্য রোগগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।" জিনইনতান হাসপাতালে যেসব রোগীদের উপর গবেষণা চালানো হয় তাদের অর্ধেকই আগে থেকেই নিরাময়যোগ্য নয় এমন অন্য কোন রোগে আক্রান্ত ছিল। ভাইরাসের মৃদু সংক্রমণের শিকার শিশুরা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি। কিন্তু শিশুরা কি ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পরিচিত নয়? "শিশুরা সাধারণত নিজেরাই বেশি পরিমাণে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং তা ছড়িয়েও দিয়ে থাকে- আর তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান সংক্রামক বা 'সুপার স্প্রেডার' হিসেবে পরিচিত," বলেন ইয়ান জোনস। "তারা খুব সহজেই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ছড়ায় এবং নার্সারির বাচ্চাদের সাথে যারা থাকেন তারা এটি ভালভাবেই জানেন," তিনি বলেন। তাই নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতদের তালিকায় বড় সংখ্যায় শিশুদের থাকার কথা ছিল- কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে যে, ভাইরাসে বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে, অথবা রোগটি হয়তো প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের প্রতি তেমন আগ্রাসী হয় না, আর তাই শিশুরা চিকিৎসা সেবা নেয় না এবং পরীক্ষাও নথিবদ্ধ করা হয়না। তবে চলতি প্রাদুর্ভাব নিয়ে আরো বেশি গবেষণার পর হয়তো এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। আবার এটাও হতে পারে যে, সচেতন বাবা-মা এবং স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা হয়তো সংক্রমণের সংস্পর্শে আসছে না। এক্ষেত্রে চীনে স্কুল খোলার পর যখন শিশুরা স্কুলে যাবে তখন এ বিষয়ে জানা যাবে।
করোনাভাইরাস: শিশুরা কেন অসুস্থ হচ্ছে না?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর প্রথম লকডাউন করা হয়েছিলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে ঢাকার টোলারবাগ, বাসাবোসহ আরও কয়েকটি এলাকায় করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়ার পর লকডাউন করা হয়েছিলো। এরপর কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং বা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরও চিহ্নিত করে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো স্থানীয় ভাবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়। আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার কারণেই শিবচর ও টোলারবাগের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আটই মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের পর পরবর্তী এক সপ্তাহে ২৪১ জন বিদেশ ফেরত ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলো আইইডিসিআর। এর মধ্যে তখন আটজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিলো। তখন থেকেই বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছিলো। বাংলাদেশে কিভাবে করা হয় কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং মূলতঃ কোনো রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেলে তার কাছে ফোন করে আইইডিসিআর তথ্য নিতো যে তিনি অসুস্থ বোধ করার পর কার কার সাথে তিনি মিশেছেন বা কাছাকাছি এসেছেন। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত হলে তার যতজন সংস্পর্শে আসে এবং সেখান থেকে কতজন এবং তাদের থেকে কতজন। এজন্য নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী এটা বিশ্লেষণ করা হয়। আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে বলছেন এপ্রিলের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ঠিক ছিলো। মাঝখানে কয়েকদিন ঝামেলার পর এখন আবার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। "কিন্তু এখন যে জটিলতা তা হলো মানুষ যখন ল্যাব রেজাল্ট জানছে তখন পজিটিভ হলে হয়তো ফোন বন্ধ করে দিচ্ছে"। তিনি জানান ২৬শে মার্চ সাধারণ ছুটির পর যে পজিটিভ লোক পাওয়া গেছে তারা অনেকে স্বীকারই করেননি যে তিনি বাইরে গেছেন বা বাইরে কতক্ষণ ছিলেন তা বলেননি। "অসত্য বললে তো এটা বের করা অসম্ভব যে কারা তার সংস্পর্শে এসেছেন"। মিস্টার আলমগীর বলেন প্রথম দিকে একজন আক্রান্ত হলে তার কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে ৬০/৭০ জন পর্যন্ত তারা বের করতে পেরেছেন। "কিন্তু এখন আর কিছু মানুষ সত্য বলছেন না, ফলে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং জটিল পর্যায়ে আছে। আমরা স্মার্ট ফোন দিয়ে চেষ্টা করি কিন্তু বাংলাদেশের বিরাট জনগোষ্ঠীই স্মার্টফোন ব্যবহার করেনা। ফলে তার অবস্থানও নির্ণয় করা যায়না"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: লিবিয়ার পরিস্থিতি এতো জটিল হলো কিভাবে? দৌড় শেষ করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি প্রাথমিক শিক্ষা: ৬৫% শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারেনা বাংলাদেশে একটি হাসপাতালের সামনে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষারত লোকেরা সংক্রমণ বাড়ছেই, এখন কি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং সম্ভব? আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর ঈদ উপলক্ষে একদল মানুষ দল বেধে বাড়ি গেছে। এর ফলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে কিছু মানুষ অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি গেছে। এখন আবার অফিস আদালত খুলে দেয়ায় ঢাকায় আসা শুরু হয়েছে। "অর্থাৎ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়ে বাড়ি গিয়ে আবার ঢাকায় ফিরেছেন। ঢাকাই এখন হটস্পট। এরপর নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, চট্টগ্রাম"। এভাবে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়া ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা বের করা কতখানি সহজ? জবাবে ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন এখন যেহেতু আর ছুটি নেই এবং সবকিছু কার্যত খুলে দেয়া হয়েছে তাই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। "যেসব এলাকায় রোগটি ছড়ায়নি সেখানে রোগী পাওয়া মাত্র কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করাতে পারলে রোগটি সেসব এলাকায় বিস্তার থেকে ঠেকানো সম্ভব"। স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য বলছে এ জন্য বিপুল সংখ্যক লোকবল কাজ করে যাচ্ছে যারা পজিটিভ রোগীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার সংস্পর্শে কারা ছিলো সেটা জানার চেষ্টা করছেন। মিস্টার হোসেন বলছেন খুঁজে খুঁজে আইসোলেশনে নিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। যেখানে মহামারি বেশি করে ছড়িয়েছে- সেখানে যে ঘরে রোগী পাওয়া যায় সেখান থেকেই খোঁজ নিতে হবে।। তিনি বলেন আগে হেনস্থা হওয়ার ভয়ে অনেকেই বলতে চাইতোনা কিন্তু এখন পরিস্থিতির কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কী বলছে? একজন কতজনকে সংক্রমিত করে? আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর গত রোববার বাংলাদেশে রোগী থেকে সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১৩। তিনি বলেন, "বিশ্বব্যাপী এটা ছিলো ৩ দশমিক ৫৮ । বাংলাদেশে এটা ১ দশমিক ১৩। এক সময় বাংলাদেশের দুই এর উপরে ছিলো এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের দিকে। এরপর কমতে শুরু করে ১দশমিক ১ হয় মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। মিস্টার হোসেন বলেন এক এর নীচে যাওয়া মানে সংক্রমণের গতি কমতে শুরু করা আর এক মানে মহামারী অর্থাৎ এখনো ছড়াচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে ১ দশমিক ১৩ মানে অনেক বেশি। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কী? কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং হচ্ছে একটি পদ্ধতি যা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়। এটা সাধারণত যৌন রোগের ক্লিনিকে ব্যবহার করা হয়। সেখানে রোগীদের বলা হয় তারা যেসব মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষেত্রে, যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যেতে বলা হয়। এটা সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়। সাথে একটা স্বয়ংক্রিয় লোকেশন ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপও সংযুক্ত করা হয়েছে তবে বাংলাদেশে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী কম ফলে সেটি খুব একটা কার্যকর হচ্ছেনা। বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে?
করোনাভাইরাস: 'অসত্য' তথ্য কন্টাক্ট ট্রেসিংকে জটিল করে তুলছে - কর্তৃপক্ষ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানির সঙ্গে নিহত হয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিস একটি বিবৃতিতে তারা বলছে, জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যু ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে হয়েছে যা জিহাদিদের সুবিধা এনে দেবে। তবে তারা সেই বিবৃতির কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ করেনি, যে দেশটি গত ০৩ জানুয়ারি বাগদাদে সোলেইমানির ওপর ড্রোন হামলা করে। জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশের বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে, যার একটি হচ্ছে জিহাদিদের বিরুদ্ধে অসমাপ্ত যুদ্ধের বিষয়টি। হামলার প্রায় পরপর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীরা ঘোষণা করেছে যে, তাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে নিজেদের রক্ষা করা। সামরিক দিক দিয়ে দেখলে, তাদের সামনে বিকল্প কোন পথও নেই। ইরান এবং ইরাকে তাদের সমর্থনপুষ্ট যে মিলিশিয়া বাহিনীগুলো রয়েছে, তারা সোলেইমানির গাড়ি বহরে হামলায় নিহতদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার শপথ ঘোষণা করেছে। আরো পড়ুন: ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো ইরান কি ইচ্ছে করেই মার্কিন সৈন্যদের টার্গেট করেনি? ইরানের সাথে শর্ত ছাড়াই আলোচনায় রাজি আমেরিকা মিসাইল হামলার পর ইরান 'ক্ষান্ত দিয়েছে' - ট্রাম্প আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকি বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতো যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের জোট বাহিনীর সদস্যরা এর ফলে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী এবং অন্য যে পশ্চিমা জোটের সদস্যরা তাদের সঙ্গে সেখানে কাজ করে, তাদেরকে সরাসরি বিপদের মুখে ফেলেছে। এটা আইএসের জন্য খুবই ভালো হয়েছে যারা এখন তাদের খেলাফত হারানোর আঘাত থেকে ফিরে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারবে। এটা চরমপন্থিদের জন্যও সুখবর যে, আমেরিকান সৈন্যদের অতিসত্বর দেশ ছেড়ে দিতে আহবান জানিয়েছে ইরাকের পার্লামেন্ট। অনেকে কয়েক বছর ধরে বার বার জেগে উঠেছে আইএস। এটির প্রথম জন্ম হয় আরেকটি জঙ্গী গ্রুপ, আল-কায়েদা ইন ইরাক থেকে। ইরাক ও সিরিয়া জুড়ে আইএসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে বড় ধরণের একটি সামরিক অভিযানের দরকার হয়। অনেক জিহাদি যোদ্ধার মৃত্যু হয় অথবা কারাগারে ঠাঁই হয়। কিন্তু সংগঠনটিকে ধ্বংস করা যায় নি। এটা এখনো ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের পুরনো কিছু ঘাঁটিতে সক্রিয় রয়েছে। তারা গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে এবং হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। ইরাকে বিধ্বংসী হামলা অব্যাহত রেখেছে আইএস ইরাকে রয়েছে একটি কার্যকরী অভিজাত সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী, যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে প্রধানত আমেরিকান ও ইউরোপীয় জোট সদস্যরা। এই বাহিনীগুলো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সোলেইমানি গুপ্তহত্যার পর, অভিযানের পাশাপাশি এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে একই কাজ করেছে ডেনমার্ক ও জার্মানি। সামরিক প্রশিক্ষকদের সরিয়ে জর্ডান এবং কুয়েতে নিয়ে যাচ্ছে জার্মানি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঝুঁকি নিয়েছে ইরাকি বাহিনী। কিন্তু প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামের জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর নির্ভর করতো, যারা এখন তাদের ঘাঁটিতে আসন গেড়ে রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু আনন্দের বিষয় রয়েছে আইএস জঙ্গিদের জন্য। কারণ জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার মাধ্যমে তাদের দুই শত্রু, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান, একে ওপরকে হত্যার সুযোগ তৈরি করেছে। ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইরান সমর্থিক শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর গ্রুপ পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স ২০১৪ সালে জিহাদিরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, ইরাকের দ্বিতীয় বড় শহর মসুলসহ অনেক এলাকা দখল করে নেয়। তখন ইরাকের প্রধান শিয়া ধর্মীয় নেতা, গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সুন্নি চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়ার আহবান জানান। শিয়া যুবকরা তখন হাজারে হাজারে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠে-তাদেরকে একটি সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করার ক্ষেত্রে সোলেইমানি এবং তার কুদস বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মিলিশিয়া বাহিনী ছিল নির্মম, কখনো আইএসের নিষ্ঠুর শত্রু। এখন, ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো পপুলার মোবিলাইজেশন নামের একটি সংগঠনের আওতায় ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সবচেয়ে প্রধান সাড়ির মিলিশিয়া নেতারা ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিলিশিয়ারা একই শত্রুর বিপরীতে লড়েছে। কিন্তু শিয়া মিলিশিয়ারা এখন তাদের শেকড়ে ফিরে আসতে চাইছে, যার মূল ভিত্তি হলো ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। সোলেইমানির সহায়তায় পাওয়া প্রশিক্ষণ এবং উন্নত অস্ত্র দিয়ে তারা অনেক আমেরিকান সেনাকে হত্যা করেছে। এটা একটা অন্যতম প্রধান কারণ, যে জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে সোলেইমানিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমেরিকা ও ইরান আস্তে আস্তে যুদ্ধ প্রান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সোলেইমানি হত্যার আগে থেকেই শিয়া মিলিশিয়ারা আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করতে শুরু করেছিল। ইরাকি মিলিশিয়াদের ওপর ড্রোন হামলার পর বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা করে গত ডিসেম্বরে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে হামলায় একজন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদার নিহত হয়। সেটার জবাবে বিমান হামলায় খাতিব হেজবুল্লাহ নামের একটি গ্রুপের ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়। তাদের নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিস বাগদাদ বিমানবন্দরে সোলেইমানির সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে একই গাড়িতে নিহত হন। আইএসের সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আল-নাবায় একটি সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, সোলেইমানি এবং আল-মুহানদিস তাদের মিত্রদের হাতে নিহত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো হচ্ছে। এটা বলছে, আইএসের শত্রুরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে, যা তাদের শক্তি এবং সম্পদের ক্ষয় করবে, শেষে লাভবান হবে জিহাদিরাই। ইতিহাসে দেখা গেছে, জিহাদি চরমপন্থিরা তখনি সবচেয়ে বেশি উন্নতি করে যখন তারা অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, দুর্বলতা এবং বিভক্ত শত্রুর সুবিধা পায়। অতীতে ঘটেছে এবং আবারো সেটা ঘটার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ইরান-আমেরিকা: কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস জিহাদিদের জন্য সুখবর
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইদলিবের লড়াল বাঁধলে নজিরবিহীন মানবিক দুর্গতি হতে পারে বলে সাবধান করেছে হাতিসংঘ লড়াই বাঁধলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের শহরে মানবিক ট্রাজেডি তৈরি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছিল আমেরিকা সহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে ইদলিবে সামরিক অভিযান না চালানোর জন্য সিরিয়া এবং তার মিত্র ইরান ও রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করেন। কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেই হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে রুশ যুদ্ধ বিমান আজ (মঙ্গলবার) ইদলিবে বেশ ক'দফা হামলা চালিয়েছে। কেন অনেক ঝুঁকি সত্বেও ইদলিবে যুদ্ধ শুরুর পথ থেকে পিছু হটতে রাজী নয় সিরিয়া এবং রাশিয়া? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন ইদলিব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন? কেন ইদলিবের যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ? সিরিয়ার এই প্রদেশটি এখন বিদ্রোহী এবং জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর শেষ ঘাঁটি। গত কয়েক বছরে সিরিয়ার বিভিন্ন শহর এবং জনপদ থেকে বিতাড়িত হয়ে বিদ্রোহীরা এখানে এসে জড় হয়েছে। জাতিসংঘের দেওয়া হিসাবে ইদলিবের জনসংখ্যা ২৯ লাখ, যার মধ্যে ১০ লাখই শিশু। ইদলিব প্রদেশের উত্তরে তুরস্কের সীমান্ত। পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় শহর লাটাকিয়া। আলেপ্পো এবং রাজধানী দামেস্কের মধ্যে সংযোগকারী একাধিক মহাসড়ক এই ইদলিব প্রদেশের ভেতর দিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট আসাদ যদি ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের চূড়ান্ত পরাজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যাবে। সুতরাং আরেকটি মানবিক সঙ্কটের ঝুঁকি বা আমেরিকার হুঁশিয়ারি - কোনোটাই তোয়াক্কা করছে না সিরিয়া এবং রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইদলিবে জিহাদিরা সিরিয়ায় রুশ ঘাঁটিগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করেছে এবং সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধানের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইদলিবে "সন্ত্রাসীদের আস্তানা" ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত। বিদ্রোহীরা ২০১৫ সালে ইদলিব দখল করে নেয় ইদলিব কার নিয়ন্ত্রণে? এই প্রদেশটি একক কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। অনেকগুলো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অবস্থান এখানে, যাদের নিজেদের মধ্যেই অনেক বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হয়, এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অনুগত যোদ্ধার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০,০০০। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নাম হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)। কট্টর ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীর সাথে আল-কায়দায় সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা প্রাদেশিক রাজধানী সহ তুরস্কের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বাবা আল-হাওয়া সীমান্ত এই গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে এরা। ইদলিবে এদের যোদ্ধার সংখ্যা ১০,০০০ - যাদের মধ্যে অনেক বিদেশী রয়েছে। ইদলিবে দ্বিতীয় শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নাম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এনএলএফ)। এরা তুরস্ক সমর্থিত। এইচটিএসের বিরোধী কয়েকটি ক্ষুদ্র কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে এ বছরই এনএলএফ শুরু করে। এদের মধ্যেও আহরার আল শামের মত জিহাদি গোষ্ঠী রয়েছে। হায়াত তাহরির আল শাম অস্ত্র সমর্পনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কেন সিরিয়া সরকার এখন হামলা করতে চাইছে? রাশিয়ার বিমান হামলা এবং স্থালে ইরান সমর্থিত হাজার হাজার মিলিশিয়া যোদ্ধাদের সমর্থনে সিরিয়ার সরকার সম্প্রতি বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করে ফেলেছে। শক্তি সঞ্চয়ের কোনো সুযোগ সরকার এখন বিদ্রোহীদের দিতে চাইছে না। ৩০ অগাস্ট সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ইদলিবকে মুক্ত করাই এখন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঠেকাতে সরকার মীমাংসার চেষ্টা করছে, কিন্তু তা কাজ না করলে যে কোনো পন্থা নেওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত। ইদলিবে লড়াই ঠেকানোর জন্য রাশিয়ার সাথে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করছে তুরস্ক। তুরস্কের ভয় - ইদলিবে বড় ধরণের লড়াই শুরু হলে তাদের সীমান্তে নতুন করে শরণার্থীর ঢল নামবে। তুরস্কে এখনই প্রায় ৩০ লাখ সিরিয় শরণার্থী রয়েছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মোয়াল্লেম বলেছেন, 'ইদলিবকে মুক্ত' করা সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার ইদলিবের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য পরিণতি কী হবে? ইদলিবে পুরাদস্তুর লড়াই শুরু হলে বেসামরিক লোকজনের ওপর তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এমনিতে শহরের লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের নানা জায়গা থেকে তাড়া খেয়ে হাজার হাজার বিদ্রোহী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় জনসংখ্যার চাপ আশঙ্কাজনক বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা সাবধান করেছেন - ইদলিবে বড় কোনো লড়াই বাধলে সিরিয়ায় নজিরবিহীন মানবিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। জাতিসংঘ বলছে, ৮০০,০০০ মানুষ বাস্তচ্যুত হতে পারে। লাখ লাখ শরণার্থী তৈরি হতে পারে এই ভয়ে তুরস্ক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। রুশ সৈন্যরা প্রেসিডেন্ট আসাদের অবস্থান সংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সিরিয়ার জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান দ্য মিস্তুরা হঠাৎ বড় কোনো অভিযান শুরু না করার জন্য রাশিয়া এবং ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দুটো সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাব করেছেন: এক, রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং দুই, বেসামরিক লোকজন যাতে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। তুরস্ক কোনোভাবেই চাইছে না ইদলিবে বড় কোনো যুদ্ধ শুরু হোক। তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া এবং রাশিয়ার নেতারা শুক্রবার ইরানে একটি বৈঠকে বসবেন বলে কথা রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাশিয়ার বিমান হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইদলিব নিয়ে একবারেই পিছু হটতে ইচ্ছুক নয় সিরিয়া এবং তার মিত্ররা। আরও পড়ুন: ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চায় আরো বিদেশী আসুক 'উত্তর পাড়ার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই' নাইজেরিয়ার যেখানে টাকা দিয়ে বউ কেনা যায়
সিরিয়ার ইদলিব নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি কেন তোয়াক্কা করছে না রাশিয়া
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যায় এবার গ্রীস্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। কোন কোন নগরীতে প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ ষাট সেন্টেও বিক্রি হচ্ছিল। দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড আছে, তার প্রধান অমিত যাদবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ হচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না, তেমনি কর্ণাটক বা তামিলনাডু থেকেও পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। এই বিবৃতিতে অবশ্য রপ্তানি বন্ধের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেটাই এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেও ভারত একেবারে আচমকা বাংলাদেশসহ সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমদানি করার ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। গত বছরের ঐ সিদ্ধান্তের পর সাথে সাথেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল কয়েক মাস। ভারত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে। দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালীতে পেঁয়াজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভারতের পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাও ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
পেঁয়াজ সংকট: ভারত আবার রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিল
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামটিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং র‍্যাবের দু'টি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তবে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, গ্রামের বাসিন্দাদের আতংক এখনও কাটেনি। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একজন হিন্দু ব্যক্তির স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে শত শত হেফাজত সমর্থক গতকাল বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। ঘটনার পরদিন আজ র‍্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং গ্রামটির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। পরে মি: মামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দু গ্রামে হেফাজত সমর্থকদের হামলা, ভাংচুর, লুট বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি ঘটছে যেসব কারণে '৭১-এর পরাজিত শক্তি মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে মাঠে নেমেছে' গ্রামের সাত-আটটি পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, হামলায় জড়িতদের অনেকের নাম পাওয়া গেছে। আজ মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু লাঠিসোটা, দা-ছুরিসহ নানা রকম দেশী অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। এর দীর্ঘ সময় পরও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি কেন? এই প্রশ্নে পুলিশ সুপার মি: রহমান বলেছেন, "যখন শত শত মানুষ একটা ঘটনার সাথে যুক্ত থাকে, তখন পরিস্থিতি ট্যাকেল (সামাল) দেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতি যাতে কম হয়, সেটাই মুল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই পরিস্থিতি গেছে এবং আজ স্বাভাবিক অবস্থা এসেছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।" তিনি উল্লেখ করেছেন, "হেফাজতে ইসলামের মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। ফলে হামলাকারীরা তার অনুসারী বা তার আদর্শে বিশ্বাসীরা হতে পারে। আমরা কিছু নাম পেয়েছি, তা এখন প্রকাশ করবো না।" স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ীই বুধবারের এই হামলায় গ্রামটিতে হিন্দুদের ৮৮টি বাড়ি-ঘর এবং সাত আটটি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গচ্ছিত থাকা টাকা এবং স্বর্ণ লুট করেছে হামলাকারীরা। তছনছ করে দেয়া একটি ঘর ওদিকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুনামগঞ্জের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলাকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। গত ১৫ই মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এক ধর্মীয় সমাবেশে হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এর পরদিন মামুনুল হককে নিয়ে গ্রামটির একজন হিন্দু যুবক স্ট্যাটাস দেয়-এই অভিযোগ তুলে হেফাজতে সেখানে বিক্ষোভ করেছিল। সেই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে হেফাজতে ইসলাম হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সুনামগঞ্জের হিন্দু গ্রামে হামলা: মামলায় ৮০ জনের নাম, নেই গ্রেপ্তার, পরিস্থিতি থমথমে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ডিলানের মৃত্যু কলম্বিয়ায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ২৪ ঘন্টায় ডিলান শব্দটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার বার টুইট করা হয়েছে। কে ছিলেন ডিলান? ২৩শে নভেম্বর শনিবার বিকেল চারটার দিকে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার রাস্তা থেকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে শুরু করে। দুর্নীতি এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারে আড়াই লক্ষ মানুষ দেশব্যাপী ধর্মঘট ডাকে। বিক্ষোভকারী-পুলিশের মধ্যকার বিশৃঙ্খলার মধ্যে ডিলান হাতে পুলিশের ছোঁড়া একটি কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার তুলে নেয়। গ্লাভস পড়া হাতে ক্যানিস্টার তুলে নিয়ে দাঙ্গা পুলিশ স্কোয়াডের দিকে ছুঁড়ে মারে ডিলান। এরপর দৌড়াতে শুরু করে ডিলান, কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি গুলি লাগে তার শরীরে। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ডিলান, নিথর। সামাজিক মাধ্যমে অনেক ভিডিওতে দেখা যায় প্যারামেডিক এসে পৌঁছানোর আগে রাস্তায় পড়ে থাকা ডিলানকে ঘিরে রয়েছে অনেক মানুষ, একসঙ্গে অনেকে চিৎকার করে বলছে 'গুলি করেছে' এবং 'গুলি করে মেরে ফেলেছে'। হ্যা, ওরা ডিলানকে মেরে ফেলেছে। সোমবার ডিলান মারা যায়। কিন্তু প্রথম দুইদিন বোগোটা হাসপাতালের আইসিইউতে ছিল ডিলান। এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, "আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ডিলান ক্রুজ মারা গেছেন। তার পরিবার এবং ঘনিষ্টজনদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইলো।" আরো পড়তে পারেন: জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সক্ষমতা কতটা বেড়েছে? ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটার সাইফের জরিমানা "নিজের লিঙ্গপরিচয় নির্ধারণের অধিকার আমার নিজের" ক্রুজের ঘটনার পর বিক্ষোভ নতুন গতি পেয়েছে, বিশেষ করে তার গুলিবিদ্ধ হবার এবং তার পরের কয়েক মূহুর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর। গত সপ্তাহে কলম্বিয়া জুড়ে আন্দোলন শুরুর পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের নিপীড়নের অনেক অভিযোগ ওঠে, ডিলান যার অন্যতম। বিক্ষোভের প্রতীক ১৮ বছর বয়সী ডিলানকে যতক্ষণে হাসপাতালে নেয়া হয়, তার আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার ভিডিও এবং টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে শুরু করেছে তার নাম। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, যেদিন ডিলান মারা যায়, ঐ একই দিনে বোগোটার স্কুল থেকে তার গ্রাজুয়েট হয়ে বেরুনোর কথা ছিল। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ডিলান এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান, এবং মা, নানা ও দুই বোনের সাথে থাকতো। যেখানে ডিলান গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অনেকে স্কুলের বন্ধুরা তাকে 'শক্তিমান', 'বুদ্ধিমান' এবং সবার প্রিয় বলে বর্ণনা করেছে। কলম্বিয়ার দৈনিক এল তিয়েম্পো এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ডিলান ভলিবল খেলতে ভালোবাসত এবং একটু আরামপ্রিয় ছিল। যদিও তার বন্ধুদের একজন জানিয়েছে, শিক্ষা ঋণ না পেয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল ডিলান, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এজন্য কোন আবেদন পায়নি। ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন বয়ান কলম্বিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এবং শনিবারের মধ্যে ৩৫১ জন বিক্ষোভকারী এবং ১৮২ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। ডিলানের মৃত্যুর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন জন নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছে। রোববার হাসপাতালে বাইরে ডিলানের সুস্থতার জন্য শত শত মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন। সাংবাদিকেরা হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নেন, ডিলানের সর্বশেষ খবর বিশ্বকে জানানোর জন্য। যেখানে ডিলান গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, সেটি সাধারণ সময়ে খুবই ব্যস্ত সড়ক। কিন্তু এখন সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে এবং সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, কলম্বিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালিয়েছে যা 'ক্ষমতার অপপ্রয়োগ'। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে এবং শান্তিপূর্ণভাবে যাতে বিক্ষোভ করতে পারে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। ডিলানের সহপাঠীদের তুলে ধরা কাগজে লেখা 'আমরা সবাই ডিলান' সরকার কী বলছে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডুকে বলেছেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এতে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ডিলানের মৃত্যুর পর দেশটির অন্য সব রাজনীতিকের মত প্রেসিডেন্টও শোক জানিয়েছেন। কিন্তু সরকারের সমর্থক কয়েকজন আইন প্রণেতা অবশ্য এ ঘটনার জন্য ডিলানের মা-বাবাই দায়ী, এমন মন্তব্য করেছেন। তাদের বক্তব্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের ঐ সময় বাড়িতে থাকার কথা, এবং আন্দোলনকারীরা ডিলানকে ব্যবহার করে বিক্ষোভ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে - এমন অভিযোগ তুলেছেন তারা। প্রতীক সামাজিক মাধ্যমে ডিলানের বিক্ষোভরত মুখের একটি ছবি ক্রমেই আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে, লাতিন অ্যামেরিকার লড়াই সংগ্রামের প্রতিবাদী স্বরূপ। আরো পড়ুন: কেন ভারতীয়দের ওপর চড়া পর্যটন কর চাপাচ্ছে ভুটান? সৌদিতে নারী শ্রমিক না পাঠিয়ে কি পারবে বাংলাদেশ? নারী খেলোয়াড় হেনস্থা: কোচকে বিরত রাখার নির্দেশ ডিলানের জীবনের শেষ কয়েক ঘন্টা যেন পুরো কলম্বিয়া এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ছিল। তার সম্পর্কে সর্বশেষ খবরের অপেক্ষায় ছিল পুরো দেশ। তার ঘটনা অন্যদের সাহস আর প্রেরণা দিয়েছে বলে বলছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সরকার রাস্তায় সেনাবাহিনী এবং দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করেছে
কলম্বিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ডিলান ক্রুজ আসলে কে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
'মেয়ে বিহীন গ্রামগুলো' উত্তরাকশি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ৫৫০টি গ্রাম এবং পাঁচটি গ্রামে প্রায় চার লক্ষ মানুষ বসবাস করে। বেশিরভাগ স্থান পাহাড়ি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে নারী ও পুরুষের অনুপাতে অসামঞ্জস্য বেশ প্রকট। অবৈধভাবে কন্যা শিশু ভ্রূণ গর্ভপাতের কারণে এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কিন্তু উত্তরাকশি এলাকায় কোন কন্যা শিশু না জন্মানোর বিষয়টি কিছুটা ক্ষোভ তৈরি করেছে। খবরে বলা হচ্ছে , এপ্রিল এবং জুনের মধ্যে ১৩২ টা গ্রামে ২১৬টা ছেলে শিশু জন্ম নিয়েছে যেখানে কোন মেয়ে শিশু জন্ম নেয় নি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দেখেছে যে এই একই সময়ের মধ্যে অন্য জায়গায় অবস্থিত ১২৯টি গ্রামে ১৮০টা মেয়ে শিশু জন্মালেও কোন ছেলে শিশু জন্ম নেয়নি। পুরো চিত্র প্রকাশ করলে দেখা এছাড়া আরো ১৬৬ গ্রামে এই একই সময়ের মধ্যে ৮৮টি কন্যা শিশু এবং ৭৮ ছেলে শিশু জন্ম নিয়েছে। উত্তরাকশিতে নারীরা গৃহস্থালী এবং ক্ষেতে কাজ করে বেশি। সার্বিকভাবে উত্তরাকশিতে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ৯৬১ শিশু জন্ম নিয়েছে, যার মধ্যে মধ্যে ৪৭৯টি মেয়ে শিশু এবং ৪৬৮টি ছেলে শিশু। কর্মকর্তারা বলছেন, এই জেলায় ১০০০ ছেলে শিশুর বিপরীতে ১০২৪টি মেয়ে শিশু জন্ম নিয়েছে, যেটি ভারতের জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। ভারতের জাতীয় হিসেবে দেখা যায়, ১০০০টি ছেলে শিশুর বিপরীতে ৯৩৩টি মেয়ে শিশু জন্ম নিচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, জন্ম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের যেসব স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন, গণমাধ্যম সম্ভবত শুধু তাদের কাছ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে। টিকাদান কর্মসূচি এবং পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রমের জন্য ৬০০ স্বেচ্ছাসেবীকে কাজ দেয়া হয়েছে যাতে তারা গর্ভবতী নারী এবং জন্ম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। জেলার সিনিয়র অফিসার আসিস চৌহান বলেছেন, "আমি মনে করি মিডিয়ার করা 'নো গার্ল ভিলেজ' রিপোর্টে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রেক্ষাপটের সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। যাই হোক, আমরা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।" সেজন্য ২৬ জন কর্মকর্তা ৮২টি গ্রামে ঘুরে এই তথ্যের সত্যতা যেমন যাচাই করছে এবং একই সাথে কোথায় ভুল হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছে। উত্তরাকশির গ্রামগুলো গাহাড়ে ঘেরা এবং প্রত্যন্ত এলাকায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জেনারেল মোশাররফের ফোনে আড়ি পেতেছিল ভারত একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস নারী যদি পুরুষকে মিলনে বাধ্য করে - তা কি ধর্ষণ? এখানে কী ধরণের ভুল হতে পারে? একটি সম্ভাবনা হচ্ছে, তথ্যগুলো ভুল কিংবা অসম্পূর্ণ হতে পারে। সেখানে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভুল থাকতে পারে। তারা কি এটা করেছে যে ছেলে শিশুদের সংখ্যাকে কিছু গ্রামে এবং মেয়ে শিশুদের সংখ্যাকে অন্য গ্রামে অন্তর্ভুক্ত করেছে? দ্বিতীয়ত, উত্তরাকশি এলাকায় জনসংখ্যা কম। এখানে একটি গ্রামে গড় জনসংখ্যা ৫০০ এবং প্রত্যন্ত গ্রামের গড় লোকসংখ্যা প্রায় ১০০'র মতো। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সবচেয়ে ছোট গ্রামগুলোতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫টি পরিবার আছে। "যদি অনেক গ্রামে কন্যা শিশু জন্ম না নেয়, তাহলে সেটা পুরো জেলার নারী-পুরুষের অনুপাতের উপর প্রভাব ফেলতো," বলছেন মি. চৌহান। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, এই জেলায় ছেলে এবং কন্যা শিশুর মধ্যে কোন বৈষম্য করা হয় না এবং এখানে উভয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অনুপাত বজায় রয়েছে। ভারতে নারী-পুরুষের অনুপাতে ভারসাম্য নেই। "ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, আমরা শুধু প্রার্থনা করি, সে যেন সুস্থ এবং সুখী হয়," হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা রোশনি রাওয়াত। এছাড়া পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি পরিশ্রমী। তারা কৃষিকাজ করে, ঘাস কাটে, গরুর দুধ আহরণ করে, রান্নাবান্না এবং সংসারের নানা কাজ করে। এছাড়া পুরুষদের মধ্যে অ্যালকোহল পানের প্রবণতা অনেক বেশি। কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কয়েক বছর যাবত এ অঞ্চল থেকে তারা কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যার কোন খবর পাননি। এখানে রেজিস্ট্রিকৃত তিনটি আলট্রাসাউন্ড মেশিন রয়েছে এবং এই তিনটি মেশিনই সরকারি হাসপাতালে। মি: চৌহান বলেন, "অবৈধ গর্ভপাত করা কিংবা কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যা করার মতো কোন অর্থনৈতিক কারণ এখানে নেই।" তবে এখানে আরেকটি মজার বিষয় আছে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জন্ম নেয়া ৯৬১টি শিশুর মধ্যে ২০৭টি জন্ম নিয়েছে বাড়িতে এবং বাকিগুলো হাসপাতালে। এর মধ্যে ১০৯টি ছেলে শিশু এবং ৯৩টি কন্যা শিশু। পুরো জেলায় নারী এবং পুরুষের যে অনুপাত রয়েছে, এই হিসেব সেটির পুরোপুরি বিপরীত। "এ বিষয়টা কিছুটা অস্পষ্ট। এটা আমাদের আরো তদন্ত করে দেখতে হবে। সাধারণত প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শিশুরা বাড়িতে জন্ম নেয়। কারণ সেখান থেকে হাসপাতালে যাওয়া কষ্টকর," বলছিলেন জেলার সিনিয়র মেডিকেল অফিসার চন্দন সিং রাওয়াত। 'হারিয়ে যাওয়া কন্যা শিশুদের' বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের কাছে চিঠি লিখে সিঙ্গাপুর সামিট বাতিলের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি কিম জং-আনের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লিখে বৈঠক বাতিলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, যাকে 'ট্রাম্প স্টাইল কূটনীতি' হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই চিঠি থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আরো কী ধারণা করা যায়? সেই বিশ্লেষণ করেছেন উত্তর আমেরিকায় বিবিসির সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুর্চার। প্রথম অনুচ্ছেদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিতে সবচেয়ে আগে যেটা চোখে পড়বে, তা হল, ''হিজ এক্সেলেন্সি'' বলে সম্বোধন, যা কিম জং-আনের ক্ষেত্রে বিরলই বলা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি এটা অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক ধরণের চিঠির সূচনার মতো, যেখানে শুরুতে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার সময়, ধৈর্য আর উদ্যমের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। চিঠিতে প্রথমেই মি. কিমের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, দুই পক্ষের অনেকদিনের আগ্রহ আর আলোচনার পর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে বলা হয়, তারা (মার্কিন সরকার) জানতে পেরেছেন যে, উত্তর কোরিয়ার অনুরোধেই বৈঠকটির আয়োজন হয়েছে, যদিও তাদের কাছে (হোয়াইট হাউজ) তা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক। (গত মার্চে প্রথম এই পরিকল্পনাটি আসে, যদিও মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়।) এরপরে তিনি বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সাম্প্রতিক ক্ষোভ ও প্রকাশ্যে বিরূপতা প্রদর্শনের কারণে এখন এ ধরণের বৈঠক করা ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। তবে এই চিঠির আসল বক্তব্য এসেছে শেষের দিকে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কলম থেকে আসলে বিষ বের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা পারমানবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের টানেলটি ধসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা আবার পারমানবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছে আর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য (একজন রাজনৈতিক পুতুল) করেছে। মি. ট্রাম্প এর আগে অনেকবারই প্রমাণ দিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়ার কোন কটূ কথার তিনি ছাড় দেবেন না। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে বর্ণনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের পারমানবিক হুমকি-ধামকির তিনি জবাব দিয়েছেন তার নিজস্ব ধরণের কথার আরেক দফা গরম ফুলকি ছড়িয়ে। যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর শক্তিশালী পারমানবিক অস্ত্রের কথা তুলে লিখেছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যেন, সেগুলো কখনো ব্যবহার করতে না হয়। ব্যাপারটা যেন গত গ্রীষ্মে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর সেই মুহূর্তের মতো, যখন আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সামরিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। এই চিঠির শুরুটা হয়তো কূটনৈতিকভাবে শুরু হয়েছে, কিন্তু তারপরেই মি. ট্রাম্পের ভাষা বেরিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ চিঠির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে কূটনৈতিক ভাষা আবার ফিরে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দুই জাতির মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, কোন একদিন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে আগ্রহী। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে তিনি বর্ণনা করেছেন, যাদের একজনকে শ্রম শিবিরে পাঠানোর শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তবে অনেক সমালোচক প্রশ্ন তুলতে পারে, এ ধরণের প্রশংসা করার জন্যে এই চিঠি উপযুক্ত জায়গা কিনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, বৈঠক বাতিল হওয়ায় সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো। তৃতীয় অনুচ্ছেদ শেষ অনুচ্ছেদে আবার ব্যবসায়িক ভাষার ধরণ চলে এসেছে, যেখানে মি. ট্রাম্প লিখেছেন, ''আপনি যদি এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি করার ব্যাপারে মনোভাব পাল্টে থাকেন, আমাকে ফোন করতে বা চিঠি লিখতে ইতস্তত করবেন না।'' চিঠিটা শেষ হয়েছে একটি হতাশার কথা জানিয়ে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ''সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো।'' এই বৈঠকের বিষয়ে সময় আর স্থানের কথা জানিয়ে নিজের টুইটে মি. ট্রাম্প লিখেছিলেন, এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বিশ্ব শান্তির জন্য খুবই বিশেষ একটি মুহূর্ত। তার সমর্থকরা বলেছেন, তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া উচিত। মি. ট্রাম্পও সেটি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, ''অনেকেই সেটা মনে করে।'' আরো বলেছিলেন, ''আমি যে পুরস্কার চাই, তা হল, বিশ্বের জন্য একটি বিজয়''। তবে তার বদলে এখন তাকে লিখতে হচ্ছে, বৈঠক বাতিল হওয়ায় ''ইতিহাসের জন্য একটি দুঃখজনক অধ্যায়।''
বিশ্লেষণ: কিম জং-আনের কাছে লেখা চিঠিতে কী বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মাছির দেহের লোমগুলো জীবাণু আকৃষ্ট করে মাছির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে আমেরিকান গবেষকরা বলছেন ঘরের মাছি আর নীল মাছি মিলে ৬০০য়ের বেশি বিভিন্নধরনের রোগজীবাণু বহন করে। এর মধ্যে অনেক জীবাণু মানুষের শরীরে সংক্রমণের জন্য দায়ী, যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখের জন্য দায়ী জীবাণু, রক্তে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন জীবাণু এবং নিউমোনিয়ার জীবাণু। পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছি এসব জীবাণু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তাদের পা আর ডানার মাধ্যমে। গবেষকরা বলছেন মাছি তার প্রত্যেকটি পদচারণায় লাইভ জীবাণু ছড়াতে সক্ষম। "লোকের এমন একটা ধারণা সবসময়ই ছিল যে মাছি রোগজীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এই ধারণার বাস্তব ভিত্তি কতটা এবং আসলেই মাছি কতটা ব্যাপকভাবে রোগজীবাণু বহন করে এবং তা ছড়ায় সেটা জানা ছিল না,'' বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক ডোনাল্ড ব্রায়ান্ট যিনি এই গবেষণার সঙ্গে কাজ করছেন। মহামারী ও মাছি এই গবেষণায় ডিএনএ বিন্যাস পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘরের মাছি ও নীল মাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা আণুবীক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখা যায় ঘরের মাছি যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে তা ৩৫১ ধরনের রোগজীবাণু বহন করে। আর নীল মাছি যা দেখা যায় মূলত গরম দেশে, তা ৩১৬ ধরনের রোগজীবাণু বহন করে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জীবাণুই দুই ধরনের মাছি বহন করে। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামে একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হচ্ছে রোগজীবাণু ছড়ানোর জন্য মাছি কতটা দায়ী সে বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। "আমাদের ধারণা, জীবাণু সংক্রমণে মাছির ভূমিকা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে কখনও দেখেননি এবং কোন রোগব্যাধি মহামারী আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মাছির ভূমিকা অর্থাৎ মাছি কত দ্রুত রোগজীবাণু ছড়াতে সক্ষম তা নিয়ে যথাযথ গবেষণাও হয়নি," বলেন প্রফেসর ব্রায়ান্ট। তিনি বলেন, ''খোলা জায়গায় অনেকক্ষণ পড়ে থাকা খাবারটা আপনি খাবেন কীনা, এটা কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।'' ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে নীল মাছির মাথা ঘরের মাছি অস্বাস্থ্যকর একথা নতুন নয়। তারা আবর্জনাস্তুপে উড়ে বেড়ায়। পচা খাবার, মরা জীবজন্তুর দেহ এবং বর্জ্য পদার্থই তাদের চারণভূমি। মানুষের শরীরে নানাধরনের রোগব্যাধি এমনকী জীবজন্তু ও গাছের মধ্যেও নানা রোগ ছড়ানোর কারণ মাছি। মরা পশুপাখির শরীরের কাছে বেশি নীল মাছি উড়তে দেখা যায়। শহর এলাকায় নীল মাছি চোখে পড়ে বেশি। মাংসের দোকান, পশু জবাইয়ের জায়গা এবং আবর্জনাস্তুপের কাছে নীল মাছির উপদ্রব বেশি। আরো পড়ুন: হামলার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন আকায়েদ এক সপ্তাহের জন্য রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ ভারতে টিভিতে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন শুধু রাতে
মাছি কতধরনের রোগ জীবাণু বহন করে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সুবোধ কুমার সিং অভিযোগ উঠেছে, একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সমর্থকরা সুবোধ কুমার সিং নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িকে ধাওয়া করে তাকে কোণঠাসা করে ফেলে এবং তারপর গুলি করে ও পিটিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। 'বজরং দল' নামে ওই গোষ্ঠীর স্থানীয় নেতা যোগেশ রাজকে এই হামলায় পুলিশ 'প্রধান অভিযুক্ত' বলে চিহ্নিত করেছে। ওই ব্যক্তি এখনও পলাতক, তবে বজরং দলের আরও তিনজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, রাজ্যের বিজেপি সরকার গোরক্ষক বাহিনীকে মদত দিতে দিতে উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলাকেই যে পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে - এই ঘটনা তারই প্রমাণ। গোহত্যাকে কেন্দ্র করে গত তিন-চার বছরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সহিংসতা হয়েছে ও বহু মুসলিমকে পিটিয়ে মারা হয়েছে - কিন্তু কোনও পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করার কোনও নজির নেই। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই ওই নিহত পুলিশ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার সিংয়ের পরিবারের জন্য মোট পঞ্চাশ লক্ষ রুপির ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনের জন্য সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করেছেন - কিন্তু মি. সিংয়ের মেয়ে জানিয়েছেন তারা টাকা নয়, বরং বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চান। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে বেশির ভাগ গণধোলাইয়ের কেন্দ্রে এখন গরু 'এটাই মোদির নৃশংস নতুন ভারত': রাহুলের টুইট রাতের বেলায় পাহারায় বেরিয়েছে গো-রক্ষকদের একটি দল এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত সোমবার, যখন বজরং দল অভিযোগ করে যে বুলন্দশহরের এক প্রান্তে একটি জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় প্রায় পঁচিশটি গরুকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গোহত্যা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। ওই গোষ্ঠীর লোকজন এই গোহত্যার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করেই থামেননি, তারা একটি ট্রাক নিয়ে রাস্তা অবরোধও শুরু করে দেন। তাদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে অবরোধ তোলার জন্য যে পুলিশ দলটি গিয়েছিল, তার মধ্যেই ছিলেন স্থানীয় থানার এসএইচও সুবোধ কুমার সিং। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এটাও দেখা গিয়েছে, তিনি অবরোধকারীদের শান্ত হতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু শত শত উত্তেজিত অবরোধকারী একটা পর্যায়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যায়, তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তাদের কারও কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরাতে শুরু করে, তাদের ছোড়া ইঁট-পাথর এসে আঘাত করে সি মিংয়ের মাথাতেও। তার কপাল থেকে রক্তপাতও শুরু হয়ে যায়। মি সিংয়ের চালক তখন তাকে নিয়ে ঝড়ের গতিতে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুদূর এগোতে-না এগোতেই একটি মাঠের কোণায় জনতা তাদের ঘিরে ফেলে। প্রাণভয়ে পালিয়ে যান তার ড্রাইভার। লাঠি নিয়ে মোটরবাইকে করে টহল দিচ্ছে গোরক্ষকরা শিউরে-ওঠার মতো একটি মোবাইল ভিডিওতে পরে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার দেহ তার এসইউভি থেকে ঝুলছে। তার মাথাটা ঠেকে আছে মাটিতে, আর পা দুটো গাড়ির ভেতরে। পেছনে শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ, আর জনতা চিৎকার করছে 'গোলি মারো'! আক্রমণকারী জনতার মধ্যে থেকেই কেউ ওই ভিডিওটি তুলেছেন বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ময়না তদন্তে রিপোর্টে দেখা গেছে, তার বাঁ দিকের ভ্রূ-র নিচে একটি বুলেট এসে বিঁধেছিল। সেই আঘাতেই তীব্র রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে জনতা তার সার্ভিস রিভলভার ও মোবাইল ফোনটিও লুঠ করে নিয়ে যায়। এদিকে পুলিশের ওপর এই হামলার বিরুদ্ধে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠেছে, অনেকেই একে 'বর্বর' ও 'বোধহীন' বলে বর্ণনা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন বহু ভারতীয় বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা ওই সহিংসতায় ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরও নিহত হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনার পর দাঙ্গা, হত্যাপ্রচেষ্টা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে ৫০জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। বুলন্দশহর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা নীতিন শ্রীবাস্তব জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সব এদিন বন্ধ রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী।
ভারতের উত্তর প্রদেশে গো-রক্ষকদের সহিংসতা, খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
রিভারেন্ড স্ট্যানলি আন্ডারহিল অনেক অল্প বয়সেই তিনি অনুধাবন করেন যে তিনি ঠিক তার বয়সী অন্যদের মতো না। "আমি আমার ভাইকেও ২০১৮ সালে বই লেখার আগ পর্যন্ত বলিনি যে আমি সমকামী," তিনি বিবিসিকে বলেন। এই সময় তার বয়স ছিলো ৯১ এবং তার ভাই তার চেয়ে দু বছরের ছোটো। "এবং সে খুব একটা উদ্বিগ্ন হয়নি। আমি যদি তাকে ও আমার পরিবারকে আগেই বলতে পারতাম। অবশ্য আমি জানিনা তারা বিষয়টা তখন কিভাবে নিতো"। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন যে তিনি বড় হয়েছেন একটি সমস্যাসঙ্কুল ও অসহিষ্ণু পরিবেশে যেখানে দারিদ্রতা, শ্রেণী বৈষম্য আর মতামত চাপিয়ে দেয়াটাই ছিলো স্বাভাবিক চিত্র। এসব কারণে তিনি যখন প্রাপ্তবয়স্ক হন তখন নিজেকে অন্যদের মতো বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আছে এমন একজন হিসেবেই উপস্থাপন করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নারী সমকামীরা কীভাবে গোপন ভাষায় কথা বলে? 'মুসলিম নারী হলেও সমকামী হওয়া যায়' সমকামী যৌনতা কি অপরাধ? বিবেচনা করবে আদালত নিজের 'সমকামিতা' নিয়ে মুখ খুললেন করণ জোহর রিভারেন্ড স্ট্যানলি আন্ডারহিল (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) তার জন্মের মাত্র নয় বছর আগে ১৯১৮ সালে ইংল্যান্ডে ভোটাধিকার পায় নারীরা। তবে সমকামী হওয়াটা ছিল বেআইনি ও এটিকে 'ঈশ্বরকে অসম্মানে'র সাথে তুলনা করা হতো। ফলশ্রুতিতে অন্য অনেকের মতো আন্ডারহিলও তার সেস্কুয়ালিটি বা যৌন বৈশিষ্ট্য গোপন করেন। "আমি সচেতনভাবেই নিজের সত্ত্বাকে দমন করি - নিজের ও ঈশ্বরসহ সবার কাছে"। নিজের সাথে সংগ্রাম শৈশবে আন্ডারহিল খুবই নার্ভাস ধরনের ব্যক্তি ছিলেন এবং তার অভিভাবক ছিলেন অনেক রক্ষণশীল। সেখানে নিজের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন নিয়ে কথা বলার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। "আমি জানতাম না আমি কে। কিন্তু তাদের বলতে পারতামনা । আপনি জানেন যে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটাই ডিকশনারিতে ছিল না"। তার বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন যেখানে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি করা হতো কিন্তু তার বেতন ছিল খুব কম। বাবার সাথে তার সম্পর্ক ছিল অনেকটা নির্দেশনা বা আদেশ নিষেধ শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। "আমার ধারণা তিনি আমাদের পছন্দ করতেন না। অবশ্য তিনি বলেননি তিনি কেন এমন ছিলেন"। রিভারেন্ড স্ট্যানলি আন্ডারহিল শৈশবে মায়ের সাথেও তার ঠিক স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না আরও ভয়াবহ হলো স্কুলে প্রায়শই তাকে টিটকারি বা হয়রানির শিকার হতে হতো। আন্ডারহিলকে ডাকা হয় তার চিকিৎসার জন্য কিন্তু তিনি সেখানে অনেক রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে অ্যালেক্স নামক একজনকে ডাকা হয় তার শুশ্রূষার জন্য। প্রেমে পড়া "চোখে খুলেই দেখলাম অ্যালেক্স আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু একটা বলছিলেন তিনি। আমি শুনিনি কি বলেছেন। কিন্তু আমি তার প্রেমে পড়লাম"। ১৯৪৮ সালে নেভিতে তার চাকরী শেষে তিনি অ্যালেক্সের বাবার কাছ থেকে বেতনহীন হিসাব রক্ষকের ক্লার্ক হিসেবে কাজের অফার পেলাম। "অ্যালেক্সের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল চমৎকার। মনে হয়নি যে আইন ভঙ্গ করেছি বা এটি কোনো অস্বাভাবিক বিষয়"। কিন্তু আন্ডারহিল যখন অ্যালেক্সের সাথে এক সাথেই থাকতে চাইলে তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে এটি অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অ্যালেক্সের বাবা তাকে কাজ ছেড়ে দিয়ে নিজের পথ দেখতে বললেন। আবার অ্যালেক্সের মধ্যেও পরিবর্তন দেখা গেলো। মায়ের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না তার "সেই প্রথম উপসংহারে আসে যে আমার সাথে তার সম্পর্ক ছিল একটা পাপ"। আন্ডারহিলের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই এক নারীর সাথে প্রেম শুরু করে অ্যালেক্স। শেষ পর্যন্ত ১৯৫২ সালে সে তার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে। বিষণ্ণতা "এটা ছিলো খুবই কষ্টের। এটা প্রত্যাখ্যানের চেয়ে বড় কিছু ছিল। আমাকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছিল"। অ্যালেক্স এরপর গে কনভারসেশন থেরাপির পরামর্শ দেয়। এক সকালে সে একদল বন্ধুকে ডাকে এবং তার হাতের ওপর হাত রেখে প্রার্থনা করতে বলে। "সে ঈশ্বরকে বলছিল আমার ভেতরে থাকা দৈত্যকে বের করে নিতে এবং সমকামী অনুভব থেকে আমাকে মুক্তি দিতে"। কিন্তু এর ফল ছিল একটা বিপর্যয়। নৌবাহিনীতে কাজ করার সময় তোলা ছবি "আমার খুবই খারাপ অনুভূতি হতে লাগলো যা আগে কোনদিন হয়নি। আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বললাম এ বিশ্বের জন্য আমি ভালো নই"। এরপর তিনি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হন ও তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। এমনকি তাকে ইলেক্ট্রো শপ থেরাপিও দিতে হয়। আন্ডারহিল নিজের সঙ্গে অনেক লড়াই করেছেন। এমনকি রাস্তাঘাটে তরুণদের দিকে তাকানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নিজের যৌন আচরণ পরিবর্তনে উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু পারেননি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। তিনি তার বাড়ি বিক্রি করে কিছু সময়ের জন্য মায়ের কাছে ফিরে যান। স্ট্যানলি আন্ডারহিল এখন লন্ডনে ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সমকামিতাকে অপরাধের সংজ্ঞার বাইরে আনা হয়। এমনকি এখনও ৬৮টি দেশে সমকামিতাকে কিছু মাত্রায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর অর্ধেকই একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশের মধ্যে ছিলো। আন্ডারহিলকে টেস্টসটেরন হরমোনাল ইনজেকশনও নিতে হয়। কিন্তু এটি তার যৌন বিষণ্ণতাই বাড়িয়ে দিয়েছিলো কেবল। পরে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে তিনি বহু সমকামী ব্যক্তিকে খুঁজে পান এবং আন্ডারহিল তাদের সাথে একটি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি করতে কঠিন পরিশ্রম করেন। "আমি ভালোবাসা পেয়েছি এবং কিছু পুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কিন্তু এগুলো বিকশিত হতে পারেনি প্রতিকূল পরিবেশের জন্য"। পরে তিনি একটি অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্ম এর অংশীদার হন এবং সেখানেও তার সেক্সুয়ালিটি একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। ম্যানচেস্টারে অ্যালান তুরিংয়ের মূর্তি "তারা প্রতি পদক্ষেপে আমাকে নিয়ে উপহাস করতো কারণ আমি একজন সমকামী। সে কারণে সেখান থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং ধর্মযাজক হওয়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দিকে মনোযোগী হই"। আন্ডারহিল ভুল ব্যাখ্যাকেই সব সমস্যার মূল বলে মনে করেন। তিনি সানডে স্কুলে পড়ার সময় থেকেই যিশুকে রোল মডেল মনে করেন। রেডিওতে যিশুর জীবন ভিত্তিক নাটক তাকে বেশ প্রভাবিত করেছিলো। "আমি তাকেই জীবনের গাইড হওয়ার জন্য চেয়েছিলাম"। যখন তার বয়স ৫০, তার এই গাইডের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে তার এবং তিনি যোগ দেন সোসাইটি অফ সেইন্ট ফ্রান্সিস-এ। ২৯ বছর বয়সের ছবি চার্চের হিপোক্রেসি তিনি কেন্টারবুড়ি স্কুল অফ মিনিস্ট্রিতে তিন বছর পড়াশোনা করেন যাজক হওয়ার আশায়। এমনকি কয়েকটি জায়গায় কাজ করেন নিজের সমকামী পরিচয়কে গোপন রেখেই। তিনি বইয়ে লিখেছেন চার্চ কর্তৃপক্ষের হিপোক্রেসির জন্য তিনি সেটি বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যদের সাথে ( সাদা জামা পড়া) মুক্তি তিনি লিখেছেন সমকামীদের প্রতি যিশুর মতো সহনশীলতা দেখানোর সুযোগ চার্চ হাতছাড়া করেছে। এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন লন্ডনে এবং সমকামীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোয় দারুণ খুশী তিনি। "অবশেষে এটাই মুক্তি," বলছেন তিনি তিনি। "আমি দুখ পাই এ কারণে যে আমি আমার স্বাভাবিক যৌন জীবন থেকে বঞ্চিত যা আমার জন্য চরম হতাশার কারণ হয়েছিল"।
৯১ বছর বয়সে এসে যাজক বললেন তিনি আসলে সমকামী
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পুলিশ বলছে সাড়ে সাত হাজার ইয়াবাসহ দুইজন বিদেশি ফুটবলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে বলছে, তাদের ডাটাবেজে বিদেশি ফুটবলারদের নামের তালিকায় গানা'র ওই দুই জনের নাম নেই। আর গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি ফুটবলার কয়েক বছর আগেই অবসর নিয়েছেন। বাকুলিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই গানা'র নাগরিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং গ্রেফতার সাবেক বাংলাদেশ ফুটবলারকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে কিভাবে তথ্য যাচাই হয়? বাফুফে'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ. আবু নাঈম শোহাগ বলছেন, "ফিফার একটা নিয়ম রয়েছে। ওই নিয়ম কানুন মেনে, আগে যে দেশ থেকে সে বাংলাদেশে এসেছে, মানে রিলিজিং কান্ট্রি, প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুটবলের নিয়ম কানুন মেনে সে এসেছে কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয়। "তাদের 'পি' ক্যাটাগরির ভিসা দরকার হয়। তার ভিসা রয়েছে কিনা, ইমিগ্রেশন অফিসের আনুষ্ঠানিকতা এগুলো দেখে ক্লাবের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের খেলতে দেই। আমাদের সম্পর্ক খেলার সাথে।" তবে তিনি বলছেন, গ্রেফতারকৃত বিদেশি দুইজন সম্পর্কে চট্টগ্রামে বাফুফের কার্যালয়, সেখানকার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও ক্রীড়া সংস্থার কাছে তারা আরও তথ্য চেয়েছেন। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে কী ঘটে? বিদেশি খেলোয়াড়দের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে তারা অনেকেই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোতে বেশ কিছুদিন হল আফ্রিকানদের ভাড়ায় খেলতে নেয়ার একটা চল রয়েছে। তবে প্রিমিয়ার লীগেই তাদের সংখ্যা বেশি। প্রিমিয়ার লীগের ১৩ টি ক্লাবে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৬৬ জন। এদের একটি বড় অংশ আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এসেছেন। বাংলাদেশে কাছাকাছি সময়ে বেশ কিছু অপরাধে আফ্রিকান নাগরিক সহ বিদেশিরা গ্রেফতার হয়েছেন। মোঃ. আবু নাঈম শোহাগ বলছেন, "একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে যখন তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যায় বা ক্লাব তাদের বাদ দিয়ে দেয়, আমাদের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলোকে বলা রয়েছে তারা যতদিন বৈধ ভিসা রয়েছে তারপরে যেন তারা বাংলাদেশে না থাকতে পারে সেটা যেন তারা নিশ্চিত করে। এটা আমরা সবসময় ক্লাবগুলোকে বলি।" তবে তিনি বলছেন, "তাপরও দেখা যায় অনেকেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও থেকে যান এবং এভাবে যারা থাকে, এই বিভিন্ন ইস্যুগুলো তাদের মাধ্যমেই সংগঠিত হয়। যে কারণে বাংলাদেশ পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স তাদের সাথে আমাদের যৌথ একটি মিটিং হয়েছিলো এবং যৌথ একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে বাফুফে, ক্লাব, ইমিগ্রেশন সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করবো যাতে আমরা সবাই মিলে এগুলো আমরা কমব্যাট করতে পারি।" বাংলাদেশে বিদেশি খেলোয়াড় অনেক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিদেশ থেকে আসা এসব খেলোয়াড়দের ফুটবলার হিসেবে তেমন কোন খ্যাতি নেই। ফুটবলের মৌসুমে তারা জেলা পর্যায় এমনকি গ্রামেও খেলতে যান। আরো পড়ুন: ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন খেলে কী হয় রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতার মূলে ইয়াবার টাকার ভাগ 'আমার মাথা একেবারে খালি হয়ে যায়, আমি ভেঙ্গে পড়ি এমন অভিযোগ রয়েছে যে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের কিছু ক্লাবের সাথে খেলোয়াড়েরা অল্প সময়ের জন্য ট্রায়াল দিতে আসেন। কিন্তু তারা আবার ফিরে গেছেন কিনা সেদিকে সবসময় নজরদারি করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদেশি ফুটবলাররা সেই সুযোগটা নেয়। বিদেশিদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা কতটা? বাংলাদেশে কাছাকাছি সময়ে বেশ কিছু অপরাধে আফ্রিকান নাগরিক সহ বিদেশিরা গ্রেফতার হয়েছেন, বিশেষ করে অর্থ জালিয়াতি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে। এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ইউক্রেনের নাগরিক। বিদেশিদের গতিবিধির উপরে কতটা নজরদারি করে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী? সেই প্রশ্ন রেখেছিলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের কাছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ শুধু বিমানবন্দর বা অন্য এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে কাজ করেন। তিনি বলছেন, "কোন বিদেশি আসলে ভিসা নিয়েইতো আসে। ভিসার সময়েই তো সে আসে। কোন ক্রিমিনাল অ্যক্টিভিটিতে যদি জড়িত থাকে তাহলে ভিসা দেয়ার সময়ই যাচাই করা হয়। আর এখানে আসার পর যদি কিছু করে, এখানে লক্ষ লক্ষ বিদেশি আছে সবাইকে কী মনিটর করা সম্ভব?" তবে তিনি বলছেন, নির্দিষ্ট কোন অভিযোগের খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দরকারে তাদের নিজের দেশে প্রত্যর্পণ করা হয়। বাংলাদেশে কত বিদেশি রয়েছেন তার সঠিক হিসেব পাওয়া যায় না। অনেকেই ভ্রমণ ভিসা নিয়েই কাজ করছেন বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ অনেক দিনের। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিদেশিদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কতটা সক্ষম? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, "বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনে যারা রয়েছেন তারা শুধু এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে কাজ করেন। বিদেশি নাগরিক যদি আমরা বলি তাদের ট্র্যাক করার জন্য আলাদা কোন ইউনিট পুলিশে নেই। যেমনটা অনেক দেশে আছে। যেমনটা অনেক দেশে এলিয়েন পুলিশ রয়েছে। আর আমাদের ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট যেটা আছে তাদের বড় ফোকাস হচ্ছে টেরোরিজম।" তিনি আরও বলছেন, "বাংলাদেশে পুলিশের অনেক চাপ। নাগরিক প্রতি পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া পুলিশের এতটা স্কিল বা প্রযুক্তি নেই যে বিদেশিদের গতিবিধি, তারা বাংলাদেশে ঢুকে কার সাথে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে সেগুলো ট্র্যাক করা তাদের জন্য মুশকিল।"
বিদেশি ফুটবলার গ্রেফতার: বাংলাদেশের ক্লাবে বিদেশি খেলোয়াড়দের সম্পর্কে কতটা তথ্য যাচাই করা হয়?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
করমর্দন নিয়ে এর আগেও সুইজারল্যান্ডে বিতর্ক হয়েছে শুক্রবারের ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, এই দম্পতি নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি গ্রহণ করা এবং সম্মান জানানোয় ব্যর্থ হয়েছে। সাক্ষাৎকারের সময় বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও হিমশিম খেয়েছে ওই দম্পতি। হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় সুইডেনে একজন মুসলিম নারীর চাকরির সাক্ষাৎকার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর তিনি মামলা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। সুইজারল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্ভাব্য নাগরিকদের অবশ্যই সুইস রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'নতুন পাকিস্তান' গড়তে পারবেন ইমরান খান? খাগড়াছড়িতে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ৬ জন নিহত 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' যদিও ওই দম্পতির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দম্পতি উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছেন। ওই দম্পতির কাছে তাদের ধর্মের বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ বলছেন। তবে তাদের দাবি, ধর্মের কারণে তাদের নাগরিকত্বের আবেদন নাকচ করা হয়নি। সেটা করা হয়েছে লিঙ্গ সমতায় তাদের বিশ্বাসের অভাবের কারণে। সুইজারল্যান্ডে করমর্দন নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম ন। এর আগে ২০১৬ সালে একটি সুইস স্কুলের নারী শিক্ষকের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম দুই ভাই হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় পুরো পরিবারটির অভিবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয় যা তখন বিতর্ক তৈরি করেছিল। প্রতিবেশী ফ্রান্সে একজন আলজেরীয় নারীর অভিবাসন আবেদন বাতিল করা হয়, কারণ অভিবাসী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একজন কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মেলাতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন।
করমর্দন না করলে নাগরিকত্ব হবে না সুইজারল্যান্ডে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া একটি ফোন। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ভাল ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন আর ওই একই কোম্পানির চার্জার ব্যবহার করলে বিপদের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। অনেক ঘটনার কথাই জানা যায়, যেখানে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে কারও মৃত্যু হয়েছে অথবা কারও শরীরের কোনও অংশ ঝলসে গেছে। গত সপ্তাহে এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরে। রিয়া ব্যানার্জী নামে ২২ বছরের এক তরুণী মোবাইলে চার্জ দেওয়ার সময়েই কথা বলছিলেন। হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। দমকল বাহিনী বলছে, ওই তরুণী যে বিছানায় বসে কথা বলছিলেন মোবাইল ফোন চার্জে দিয়েই, সেই বিছানাও কিছুটা পুড়ে গেছে। ঘর থেকে ফেটে যাওয়া মোবাইল, চার্জার এসব উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরেই মিজ. ব্যানার্জীর বাড়িতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিত দাস। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ পাই। মেয়েটি চিৎকারও করছিল। ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়েটি অনেকটা পুড়ে গেছে। বিছানাতেও আগুন লেগে গিয়েছিল। মোবাইলেই যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। পাশেই চার্জারের কেবলও পড়ে ছিল।" চীনে ২০১৩ সালে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে পুড়ে গেছে। তবে সেসময় ফোনটি চার্জে দেওয়া ছিল না বলে এর ব্যবহারকারী জানিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ফাইভ জি নেটওয়ার্ক কি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াবে? বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফেরতে টাকা দেবার উদ্যোগ 'মোবাইলে কী করে চার্জ দেব?' ককপিটের দরজায় টোকা যে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাদের একজন বলছিলেন, "আমরা যখন ফেটে যাওয়া মোবাইলটার ছবি তুলছিলাম, তখনই খেয়াল করি যে ওটা কোন নামী ব্র্যান্ডের সেট ছিল না। স্ক্রিনটাও ফেটে গিয়েছিল। মোবাইলের সঙ্গেই একটা লাল রঙের চার্জিং কেবল যুক্ত ছিল। সেই তারের আবার দুটো জায়গায় লিউকোপ্লাস্ট জড়ানো।" সন্দেহ করা হচ্ছে, চার্জ দেওয়ার সময়ে কোনও ভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর যেহেতু সেই সময়ে মিজ. ব্যানার্জী মোবাইলে কথা বলছিলেন, তাই সেটি ছিল কানের সঙ্গে লাগানো। তাতেই বিস্ফোরণের আঘাত অনেকগুণ বেড়ে গেছে। মিজ. ব্যানার্জীর ঘটনাই প্রথম নয়। ২০০৪ আর ২০০৫ সালে এরকম দুটি ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে, যেখানে ফোনে চার্জ দেওয়ার সময়ে তড়িতাহত হন এক ভারতীয় এবং এক নাইজেরীয় নাগরিক। ২০১৩ সালে এক চীনা বিমানসেবিকা যখন তার ফোনে চার্জ দেওয়ার সময়ে একটি কল রিসিভ করেন, সেটি ফেটে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। চীনে ২০১৩ সালে ওয়াং কাই নামের এক যুবক জানান, তিনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন তার ফোন বিস্ফোরিত হয়ে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তার বিছানার কিছু অংশও পুড়ে যায়। এসময় ফোনটি চার্জে দেওয়া ছিল না বলেও তিনি জানান। স্থানীয় পুলিশ বলেছিল, ফোনটির ত্রুটির কারণে এরকম হয়ে থাকতে পারে। ইউ এস কনজিউমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি আর চার্জারের কারণে ২,০০০ দুর্ঘটনা তারা নথিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে আগুন লেগে যাওয়া, অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া, গলে যাওয়ার ঘটনা, তেমনই আছে ফোন থেকে ধোঁয়া বের হওয়া আর বিস্ফোরণের ঘটনাও। পুড়ে যাওয়া বিছানা দেখাচ্ছেন ওয়াং কাই। প্রযুক্তিবিদদের ব্যাখ্যা, মোবাইল ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু তাপমাত্রা খুব বেড়ে যাওয়ার আগেই মোবাইলে এমন কয়েকটি সুরক্ষা কবচ থাকে, যা চূড়ান্ত তাপমাত্রায় পৌঁছতেই দেয় না। এক বিখ্যাত মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানির একজন সিনিয়র প্রযুক্তিবিদ, যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি, বলছিলেন, "যে সুরক্ষা কবচ আমাদের মতো কোম্পানির মোবাইলে থাকে, তাতে বিস্ফোরণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে চার্জ হওয়ার সময়ে মোবাইল কিছুটা গরম হয়েই থাকে। তবে সেটা থেকে বিপদের সম্ভাবনা থাকে না বড় ব্র্যান্ডের ফোনে।" "কিন্তু সস্তা ও অনামী যেসব ব্র্যান্ড আছে, তারা হয়তো এরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখে না। আবার যে কোম্পানির ফোন, তাদের সরবরাহ করা চার্জার ব্যবহার না করে সস্তার কোনও চার্জার ব্যবহার করলেও, এরকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।" আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু পরিস্থিতি: মশা মারতে কামান নয়, মশা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাননি বিচারপতি সিনহা ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের ডেটা ব্যবহার পদ্ধতি
মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলা, গেম খেলা, ব্রাউজ করা কতোটা নিরাপদ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইমরান খান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার পাকিস্তান-প্রশাসিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদে যান এবং সেখানকার আইন পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন বলে বিবিসির মনিটরিং বিভাগ জানাচ্ছে। "নরেন্দ্র মোদী কৌশলগতভাবে ভুল করেছেন। তিনি তার শেষ কার্ডটি আগেই খেলে ফেলেছেন। তারা এখন কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে," মি. খান তার ভাষণে বলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া অনুচ্ছেদ ৩৭০'র বিলোপ এবং ঐ রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে কাশ্মীরের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বর্ণনা করে মি. খান ভারতের তরফে, তার ভাষায়, যে কোন দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানান। পাকিস্তানের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এপিপি খবর দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী খান তার ভাষণে কাশ্মীরের আইন পরিষদকে জানিয়েছেন যে ভারত আজাদ কাশ্মীরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। ভারতের তরফে যে কোন হুমকি মোকাবেলার জন্য পাকিস্তানের সরকার এবং সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে ইমরান খান আইন পরিষদকে জানান। আজাদ কাশ্মীরের আইন পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন ইমরান খান। আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীরে বিক্ষোভের ঘটনা স্বীকার করলো ভারত সরকার সৌদি আরবে নির্যাতন করা হয়নি বললে তবেই মুক্তি? কেনিয়ার যে নাচের পার্টিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ পাকিস্তানে 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' অন্যান্য বছরের তুলনায় পাকিস্তান এবার তার স্বাধীনতা দিবসকে ভিন্নভাবে উদযাপন করছে। এই দিনটিকে তারা 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' হিসেবে পালন করছে। এই উপলক্ষে সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি লোগো প্রকাশ করা হয়েছে যাতে লেখা হয়েছে 'কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান' অর্থাৎ কাশ্মীর হবে পাকিস্তান। সে দেশের প্রধান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও তাদের পর্দায় এই লোগো ব্যবহার করছে। এবারের ঈদ এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে না বলে বিবিসির উর্দু বিভাগ জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ই অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে পাকিস্তান কালো দিবস হিসেবে পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় সরকারি বেসরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
কাশ্মীরের জন্য ভারতকে 'চরম মূল্য' দিতে হবে: পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহার বৈধ হওয়ার পর কানাডায় উল্লাস স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব, আইন এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক চলছিল। উরুগুয়ে ছিল প্রথম দেশ যারা বিনোদনের জন্য গাঁজাকে বৈধ করেছিল। যদিও পর্তুগাল এবং নেদারল্যান্ডস এটিকে অপরাধমূলক ড্রাগ নয় বলেছিল আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন কানাডার প্রদেশ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্ব থাকবে কোন স্থান থেকে গাঁজা কেনা যাবে এবং গ্রহণ করা যাবে। কেন কানাডা গাঁজা বৈধ করলো? মধ্যরাতে লাইনে দাড়িয়েছেন গাঁজা কেনার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ২০১৫ সালে যে প্রচারণা চালিয়েছিল সেটাই পরিপূর্ণতা পেল গাঁজা বৈধকরণের মধ্যে দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী জোড় দিয়েই বলেছিলেন কানাডা হল বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটা দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি গাঁজা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখানে শত বছরের পুরনো আইন বহাল আছে যেখানে এটাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে ধরা হয়। তিনি বলছেন নতুন এই আইন এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে করে সেটা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতের নাগালের বাইরে থাকে। একই সাথে অপরাধীদের কাছ থেকে লভ্যাংশ বের করে আনা যাবে। ফেডারেল সরকার ধারণা করছে গাঁজা বিক্রির মাধ্যমে বছরে চার'শ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়বে। নতুন নিয়মে কী আছে? প্রাপ্ত বয়স্করা গাঁজা থেকে তৈরি তেল, বীজ, গাছ এবং শুকনো পাতা কিনতে পারবেন লাইসেন্স করা কোন উৎপাদক এবং বিক্রেতার কাছ থেকে। একজন বাড়ীতে চারটির বেশি গাঁজার গাছ লাগাতে পারবে না। প্রকাশ্যে একজনের কাছে ৩০ গ্রামের বেশি গাঁজা থাকতে পারবে না। একজন বাড়ীতে চারটির বেশি গাঁজার গাছ লাগাতে পারবে না। লাইসেন্স নেই এমন ডিলারের কাছ থেকে গাঁজা কেনা যাবে না। গাঁজা মিশ্রিত খাবার এখনি অবশ্য পাওয়া যাবে না। এটার জন্য একটা বিল পাশ করতে হবে এবং এক বছরের মধ্যেই এটা হতে পারে। একটু দেরি করা হচ্ছে এই কারণে যাতে করে সরকার সুনির্দিষ্টভাবে এই পণ্য সম্পর্কে নিয়মকানুন তৈরি করতে পারে। যদি কেউ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কারো কাছে গাঁজা বিক্রি করে তবে তার ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে শাস্তির এই মাত্রা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অবশ্য চিকিৎসায় রোগের উপশম হিসেবে এই দেশটি ২০১১ সালেই গাঁজা ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, বিশেষভাবে তৃতীয় বৃহত্তম শহর ভ্যাঙ্কুভারে গাঁজা ব্যবহারের চল রয়েছে বহুদিন ধরে। ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় কানাডার গাঁজার রাজধানী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাঁজার ফার্মও রয়েছে এই শহর থেকে সামান্য দূরে ফ্রেজার ভ্যালিতে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছাকাছি এটি। আরো পড়ুন: খুরা রোগের নতুন ভ্যাকসিন কী কাজে লাগবে বিএনপির নতুন, পুরাতন জোটে কেন ভাঙ্গন যে কারণে বি চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল আবারো সামরিক শক্তি অর্জনের পথে জার্মানি
গাঁজা ও জাস্টিন ট্রুডোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি