instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
খবরটি প্রকাশের পর বিবিসি বাংলার সামজিক যোগাযোগ পাতায় অনেক মানুষ নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন স্বামীর কাছে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বাংলাদেশের এমন এক নারী বিবিসির কাছে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন, যার ফলে তিনি বিচ্ছেদ করতে বাধ্য হন। তিনি বলেছেন, "যখন তার ইচ্ছে হতো তখনই আমি বিছানায় যেতে বাধ্য হতাম। ঘরে আমার মা থাকতো, ছোট একটা ভাই থাকতো। না বললে সে প্রচণ্ড মারধোর করতো। সে আমার অসুস্থতাও মানত না। আমার যখন পিরিয়ড হতো তখন আমি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচতাম। ভাবতাম হয়ত কয়েকটা দিন আমি টর্চারের হাত থেকে বেঁচে যাবো।" আরো পড়ুন: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে কয়েকজনের স্ট্যাটাস বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ নিয়ে বিবিসি বাংলা রবিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিবিসি সামাজিক মাধ্যমে সেই প্রতিবেদনটি শেয়ার করার পর অনেকে পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই এই প্রতিবেদন এবং বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণের বিষয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। এস আলম মানিক নামের একজন মন্তব্য করেছেন, তাই বলে এটাকে ধর্ষণ বলা হবে? সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে হবার পর স্বামী/স্ত্রী একে অপরের সাথে থাকবে এটাই চিরাচরিত নিয়ম।এটাতে ধর্ষণ ট্যাগ দেওয়া মানে সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে গড়ে উঠা বিয়ে নামক বন্ধনকে হুমকিতে ফেলে দেওয়া। তবে স্বামীর উচিত বোঝাপড়া করে সহবাস করা, স্ত্রীরও উচিত স্বামীকে সাপোর্ট দেওয়া। অনেকে সমালোচনা করলেও, অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন যেমন আলামিন প্রধান নামের একজন লিখেছেন, বিবিসির রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে তারা চায় এদেশে পশ্চিমা সংস্কৃতি চালু হোক।যেখানে মেয়েরা বিয়ে করবে না। ইচ্ছা মতো সবার সাথে অবাধে যৌন মিলন করতে পরবে। এটাই তাদের স্বাধীনতা...? ইচ্ছা মতো পরকীয়া করবে যা পশ্চিমা বিশ্বে আইন দ্বারা বৈধ। তারা চায় সেটা এখানেও চালু হোক। তাদের উদ্দেশ্যে মনে হয় সেটাই। মোঃ জামিল রেজা নামের একজন লিখেছেন, আরেকটা নতুন টার্ম তৈরি করা হচ্ছে সমাজকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।আর টার্ম টা হচ্ছে "বৈবাহিক ধর্ষণ"। সূর্য মনির ফেসবুক স্ট্যাটাস সামিরা বিনতে হোসেইন নামের একটি আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, এসব কুফা, কুরুচিপূর্ণ, অশিক্ষনীয়, বাদাইম্মা, আজাইরা, আজে-বাজে, ফালতু মার্কা নিউজ না দিয়ে ভাল, গঠনমূলক, শিক্ষণীয়, উপকারী নিউজ দেয়ার জন্য এডমিনকে বিনীত অনুরোধ করছি। জিসান ভুঁইয়া নামের একজন লিখেছেন, বিবাহিত স্ত্রী এর সাথে যদি চাহিদামত যৌন মিলন না করতে পারে তাহলে একজন পুরুষ কোথায় যাবে? মোহাম্মদ ইউসুফ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য, বিয়ে করে বউকে শোকেসে রেখে দিলে কেমন হবে? বিবিসির পাতায় আসা বেশিরভাগ ব্যক্তিই এরকম নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন এমন নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, স্বামী দ্বারাও যে ধর্ষণ সম্ভব সেটি বাংলাদেশে সামাজিকভাবেও একটি অদ্ভুত ধারনা বলে বিবেচিত হয়। তাছাড়া, বাংলাদেশের কোন আইনেই বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ বিষয়টি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত নয়। সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরিন বলছেন, ''বাংলাদেশে এখনো সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে 'বৈবাহিক ধর্ষণ' বিষয়টার সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ পরিচিত না। বিশেষ করে মেয়েদের যে মানসিক একটি ব্যাপার আছে, সেটা নিয়ে বাংলাদেশে খুব একটা আলোচনা হয় না, সেই সচেতনতাও নেই।'' তিনি বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক দুইজন নর-নারীর সম্পর্ক সম্মতির ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে জবরদস্তি বা জোর খাটানো সহিংসতার মধ্যেই পড়ে। সাদিয়া খাতুন মনে করেন, স্বামীর ডাকে স্ত্রী সাড়া দেওয়া উচিত, তবে স্বামীকেও স্ত্রীর মানসিক দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত এর ফলে অনেক সময় মেয়েদের মানসিক অনেক সমস্যা তৈরি হয়, অনেকে চিকিৎসকের কাছেও যান বলে তিনি জানান। তবে নারী অধিকারের পক্ষেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। চৌধুরী তানভীর আহমেদ রিটু টুইট করেছেন, এর বিরুদ্ধে আমাদের সবার এগিয়ে আসার এখনি সময় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ বন্ধ করা উচিত। বিবিসি বাংলা এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। বাতিরুল হক সরদার লিখেছেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেক্স করাকেই ধর্ষণ বলে তা হউক স্বামী বা অন্য কেউ । বিয়ে করা মানে তা নয় যে যা ইচ্ছা তাই করবে । আমাদের দেশের অনেকেই তা বুঝতে পারেন না আবার আইনও নেই । সুতরাং নতুন আইন করতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করতে হবে । তার এই মন্তব্যে ৮৭জন লাইক দিয়েছেন। হাবিবা আক্তার নামের একজন সংক্ষেপে লিখেছেন, ধন্যবাদ স্যার। ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সূর্য মনি নামের একজন লিখেছেন,এখানে অনেক লোক কমেন্ট করেছেন কেউই আর ভাল মন্তব্য করেন নাই, শুধু আপনি একজন ভাল মন্তব্য করলেন, আপনাদের মত মানুষ যেদিন আমাদের সমাজে সংখ্যায় বেশি হবে সেইদিন আমাদের দেশটাই পাল্টে যাবে। রিও আকরাম মন্তব্য করেছেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ হয় তাহলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ে হাত দেওয়াও শ্লীলতাহানির। বাস বা ট্রেনে কেউ কোনো মহিলার গায়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে হাত দিলে সেটা শীলতাহানির কেস হতে পারে কিন্তু কেউ ওয়াইফ বা হাসব্যান্ডের গায়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে হাত দিলে সেটাও শ্লীলতাহানি !! বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশে কোন আইন নেই। বাংলাদেশে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন যাবত বিষয়টিকে পারিবারিক সহিংসতা হিসেবে স্বীকৃতির জন্যে আন্দোলন করেছে। তবে নারীদের এই অমর্যাদা বা সহিংসতার ব্যাপারে এখনো সামাজিক পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন না এই সমাজবিজ্ঞানী। সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরিন বলছেন, ''বাংলাদেশে এখনো সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে 'বৈবাহিক ধর্ষণ' বিষয়টার সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ পরিচিত না। সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন বলছেন, তাত্ত্বিক দিক দিয়ে শ্রেণীকক্ষে বা লেখালেখিতে এই বিষয়টি নিয়ে কথা হলেও, বাংলাদেশে সামাজিকভাবে এখনো এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় না। সুতরাং পাল্টানোর মতো পরিবেশ বা আলোচনা, সচেতনতা এখনো তৈরি হয়নি। "পাল্টাবে না, সেটা আমি বলবো না। যত বেশি আলোচনা হবে, সচেতনতা বাড়বে, তখনি সবাই বুঝতে শুরু করবে যে, বিবাহিত হলেও সম্মতি ছাড়া একটি মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা যায়না"। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে বিপর্যয়ে পড়েছে পৃথিবীর 'ফুসফুস'
বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ: কী বলছেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
কায়েদ-ই-আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ কিন্তু তার ৮০ বছর বাদে এসে এখন আলিগড়ের বর্তমান বিজেপি এমপি সতীশ গৌতম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মনসুরকে চিঠি লিখে এর জন্য কৈফিয়ত তলব করেছেন - এবং বলেছেন যে পাকিস্তান আজও ভারতকে বিরক্ত করে যাচ্ছে তার জন্মদাতার ছবি টাঙানোর দরকারটা কী? এমপি বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে ওই ছবি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আর এর পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন বলছে ওই ছবি টাঙানো আছে অবিভক্ত ভারতের সময় থেকেই, আর তা সরিয়ে নেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। এমপি সতিশ গৌতমের যুক্তি, "একবার দেশভাগ হয়ে যাওয়ার পর ভারতে জিন্নাহর ছবি কেন লাগানো হবে? পাকিস্তান তার ছবি লাগাতে পারে, কিন্তু ভারত কেন জিন্নাহর ছবি টাঙাবে?" বিজেপি এমপি-র পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের হাতে গড়া হিন্দু যুবা বাহিনীও এই ছবি সরিয়ে নেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে। বাহিনীর নেতা আদিত্য পন্ডিত রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছেন আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে ওই ছবি সরানো না-হলে তিনি নিজেই দলবল নিয়ে গিয়ে ওই ছবি দেওয়াল থেকে নামিয়ে দেবেন। আর এই বিতর্কের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের যতটা সম্ভব দূরে রাখারই চেষ্টা করছেন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আলিগড়ের মুখপাত্র অধ্যাপক শাফে কিদওয়াই যুক্তি দিচ্ছেন, "আমাদের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন একটি স্বাধীন সংস্থা - ছাত্ররাই তাদের নির্বাচিত করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ইউনিয়নের কোনও সম্পর্ক নেই।" অর্থাৎ, ইউনিয়ন ছবি টাঙালে তাদের কিছু করার নেই - এমনটাই বলার চেষ্টা করেছেন তিনি। আর ছাত্র ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি মশকুর আহমেদ উসমানির কথা- জিন্নার ছবি যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। ওই ছাত্র নেতা বলছেন, "১৯৩৮র অবিভক্ত ভারতে তাকে সম্মান জানিয়ে তখনকার ছাত্র ইউনিয়ন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ছবি লাগিয়েছিল। সে ছবি সরানো হবে না, আর কেউ যদি এখানে জাতীয়তাবাদের বিতর্ক তুলতে চায় তা বিরাট ভুল হবে।" তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ক্যাবিনেট মন্ত্রী এসপি মৌর্য বলেছেন, দেশভাগের আগের স্বাধীনতা সংগ্রামে জিন্নাহর যে অবদান ছিল তা মোটেই অস্বীকার করা যাবে না। দলের আর এক সিনিয়র নেতা কলরাজ মিশ্র আবার মনে করছেন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দিয়েছিলেন যিনি, জিন্নাহর বদলে সেখানে সেই হিন্দু রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের ছবি টাঙানোই বেশি যুক্তিযুক্ত। আলীগড়ের বিজেপি এমপি সতীশ গৌতম তবে জিন্নার মূল্যায়ন যেভাবেই হোক - তার ছবি সরানোর দাবিকে ইতিহাস অস্বীকার করার চেষ্টা বলেই মনে করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস। তিনি বলছেন, "জিন্নাহ এ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করতে চেয়েছিলেন, এই ধরনের একটা ইমেজই তার সম্পর্কে এ দেশে তৈরি করা হয়েছে। ছবি টাঙানো নিয়ে বিতর্কটা এখান থেকেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমাদের স্কুলপাঠ্য ইতিহাস বইয়েও তো জিন্নাহর ছবি থাকে, তার বেলা?" "আজ যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছবি থাকে, সেটা তিনি একটা সময়ের ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বলেই। আজ সে ছবি সরানো মানে তো সেই ইতিহাসটাই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা। বিজেপি এ কাজ প্রায়ই করে থাকে - হয়তো কখনও মুসলিম লীগও করেছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু এগুলো কোনওটাই সমর্থনযোগ্য নয়", বলছিলেন অধ্যাপক বিশ্বাস। বেশ কয়েক বছর আগে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডভানি পাকিস্তানে গিয়ে জিন্নাহর ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন, সে জন্য তাকে দলের ভেতরেই প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহর ছবি নিয়ে বিতর্ক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মাঝপথে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে নিজেদের সরিয়ে বাড়ি ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যাডাম জাম্পা, কেইন রিচার্ডসন এবং অ্যান্ড্রু টাই এরা হলেন অ্যাডাম জাম্পা ও কেইন রিচার্ডসন। এর আগে তাদের স্বদেশী অ্যান্ড্রু টাই আইপিএল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। জাম্পা এবং রিচার্ডসন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজেদের প্রত্যাহার করেন। ওদিকে, ভারতের অফ স্পিনার রাভিচান্দ্রান অশ্বিনও পরিবারকে সময় দেয়ার কথা বলে আইপিএল থেকে বিরতি নিয়েছেন। অ্যান্ড্রু টাই ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের সাথে - নিজেকে সরিয়ে নিয়ে তিনি রোববারই উড়াল দিয়েছেন সিডনির উদ্দেশ্যে। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে ক্রিকেটারদের জন্য 'বাবল' তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখন সেটাই অনেকের জন্য হয়ে উঠেছে মানসিক চাপের কারণ। টাই আশঙ্কা করছিলেন যে অস্ট্রেলিয়া যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণে বর্ডার বন্ধ করে দেয়, তাহলে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন কি-না। অস্ট্রেলিয়ার রেডিও স্টেশন এসইন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি চেষ্টা করেছি অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউন দেয়ার আগেই যাতে আমি ফিরতে পারি।" মারাত্মক করোনাভাইরাস সংকটের কারণে অনেক দেশই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, আর অস্ট্রেলিয়াও লকডাউনে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। মুম্বাই থেকে কাতারের দোহা হয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরেছেন অ্যান্ড্রু টাই। অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার বলেন, অনেকেই (ক্রিকেটার) দুশ্চিন্তায় আছে এবং অনেকে তার সাথে যোগাযোগও করেছে এটা জানতে যে কী পথে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেছেন। অন্যদিকে অশ্বিন টুইট করে বলেন, "আইপিএল থেকে আপাতত বিরতি নিচ্ছি। এখন আমার পরিবার ও পরিবারের আশেপাশের মানুষের সাথে থাকবো, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে। যদি সব ঠিক পথে আসে, তবে আবার খেলায় ফিরবো।" ওই টুইটে তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং মন্তব্য করেছেন, নিজের পরিবারের খেয়াল রাখো, দ্রুত দেখা হবে। ভারতে গত পাঁচ দিন ধরেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে। সোমবারে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে যে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আরো যা পড়তে পারেন: যে শহরে শ্বাস নিতে পারাই এখন বিলাসিতা করোনাভাইরাস: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এলে পরিস্থিতি খারাপের আশংকা দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ আর ওই সময়ে আরও ২,৮১২ জন মারা গেছে বলে পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে। রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলা জাম্পা এবং রিচার্ডসনও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ভারত ত্যাগ করেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানায় এবং এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ক্রিকেটাররা এখনও ভারতেই আছেন। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্সদের মতো খেলোয়াড়রা খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর থেকেই বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। সীমান্ত বন্ধ করে এবং লকডাউনের মতো ব্যবস্থা নিয়ে তারা সাফল্যও পেয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার দয়া করে খেলা বন্ধ করুন - শোয়েব আখতার "আইপিএল এখনই স্থগিত করা উচিত," এমন মন্তব্য করেছেন শোয়েব আখতার। "আমাদের এখন বিনোদনের প্রয়োজন নেই। আইপিএল প্রয়োজন নেই, পিএসএল প্রয়োজন নেই। আমাদের এখন এক হয়ে লড়াই করতে হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে।" পাকিস্তানের সাবেক এই ফাস্ট বোলার বলেন, "আইপিএল-এর অর্থ তুলে মানুষকে দেন। মানুষ মারা যাচ্ছে, নতুন অক্সিজেন কিনুন। এখন অক্সিজেন প্রয়োজন।" শোয়েব আখতার তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে আর্জি জানান এই বলে - ভারতের অবস্থা দেখুন, পাকিস্তানে কারফিউ দিয়ে দেন। প্রয়োজন হলে সেনা নামানোর কথাও বলেন তিনি।
করোনা ভাইরাস: মহামারির মধ্যে আইপিএল চলা নিয়ে বিতর্ক, নাম প্রত্যাহার করছেন ক্রিকেটাররা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মিথানল দিয়ে তৈরি ভেজাল মদ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে এরকম চক্রের ছয়জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর ঢাকার পুলিশ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়্যারহাউজগুলো থেকে মদ বিক্রিতে কড়াকড়ি থাকায় বাজারে মদের সংকট তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চক্রটি ভেজাল মদ তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। এই মদ তারা খুচরা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি করতো। এরকম ভেজাল মদ খেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ জনের বেশি মানুষ। কিন্তু হঠাৎ করে মদ খেয়ে অসুস্থ হওয়া আর বিদেশি মদের সংকটের কারণ কী? বাংলাদেশে যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন, এরকম বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকেই বিদেশি মদ অনেকটা দুর্লভ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সব ধরনের মদ এবং আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিয়ার তৈরি করে থাকে। কিন্তু দেশীয় এসব পণ্যের বাইরে বিদেশি মদেরও বিপুল চাহিদা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একজন নিয়মিত মদ্যপানকারী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আগে বিভিন্ন বার, ওয়্যারহাউজ থেকে সহজেই মদের বোতল কেনা যেতো। "কিন্তু এখন বেশি টাকা দিয়েও সেখান থেকে মদ কেনা যায় না। তাই আমরা অনেকেই পরিচিত ডিলার বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে মদ নিয়ে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনার পর সেটাও বন্ধ করে দিয়েছি," বলেন তিনি। মদ বিক্রি করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েকমাস ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে মদ বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ওয়্যারহাউজগুলো। সেই সঙ্গে বারের মদ আমদানিও অনেক কমে গেছে। আরও পড়ুন: বাজার ছেয়ে গেছে ভেজাল মদে, যা জানা প্রয়োজন বেড়াতে গিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একদল কর্মী অসুস্থ, দু'জনের মৃত্যু রান্নাঘরের কল খুলতেই বেরিয়ে এলো মদ ভারতে বিষাক্ত মদ খেয়ে তিনদিনে অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যু বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, বাংলাদেশে মদ বিক্রি ও সেবনের বিষয়ে আইনের কড়াকড়ি থাকলেও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই ঢাকার একটি বার ব্লু মুন রিক্রিয়েশন ক্লাবের কর্মকর্তা মোঃ শাহজাদা মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশে বিদেশি মদ আমদানিতে অনেক বিধিনিষেধ আছে, অনেক টাকা কর দিতে হয়। ফলে আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, তার খুব সামান্যই আমদানি করতে পারি। এরই সুযোগ নিচ্ছে একটি চক্র। তারা নকল মদ তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে।'' বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মদ্যপানের লাইসেন্স ব্যতীত মদ কেনা, বহন বা সংরক্ষণ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন। একাধিক বারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে বিভিন্ন ওয়্যারহাউজ বা ক্লাব থেকে অনেকে কম দামে মদ কিনতেন। কিন্তু সম্প্রতি শুল্ক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে ওয়্যারহাউজ বা ক্লাব থেকে বিদেশি নাগরিক ছাড়া মদ বিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যারা বিদেশি মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন, তারা এখন বিভিন্ন সূত্র থেকে মদ কেনার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশে বিয়ার ও ওয়াইন আমদানি করতে হলে সাড়ে চারশ শতাংশ কর দিতে হয়। আর হুইস্কি বা ভদকার মতো পানীয় আমদানিতে শুল্কের হার ছয়শ শতাংশের বেশি। শুল্ক কর্মকর্তাদের অভিযোগ ওয়্যারহাউজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব পানীয় বিক্রি করছে। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার অনেক বার ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। ফলে গত দুইমাস ধরে ঢাকার অনেক বারে বিদেশি মদ একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব বারে বিক্রি হয়, সেখানেও দাম কয়েকগুণ বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানে দেশীয় মদও পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুযোগে একটি অপরাধী চক্র বিদেশি মদের বোতলে ভেজাল মদ ভরে বিক্রি করছে, যা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের, জরুরি বৈঠকে বসবে জাতিসংঘ ইসরায়েল থেকে 'নজরদারী প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ': আল জাজিরা কে এই জেনারেল মিন অং লাইং মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? গত কয়েক সপ্তাহে মদ পানের পর বিষক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেছেন, যারা বিদেশি মদের নামে নকল মদ তৈরি করছে, তারা যথাযথভাবে রাসায়নিক মিশ্রণ করছে না। "অনেক সময় রাসায়নিক কাজে ব্যবহৃত মিথানল ব্যবহার হচ্ছে। ফলে সেটি বিষাক্ত হয়ে উঠছে, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে," বলেন তিনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''নিয়ম মেনে যারা লাইসেন্স চায় বা মদ আমদানির জন্য আমাদের কাছে অনুমতি চায়, আমরা সেটা দিয়ে থাকি।'' মদের সংকটের কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''একটা কারণ হতে পারে যে মহামারির সময়ে বারগুলো বন্ধ ছিল। প্রায় দুইমাস আগে বারগুলো খোলা হয়েছে, তারা হয়তো যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি করতে পারে নাই।'' ''অথবা সরকারের অন্যান্য দপ্তরের নজরদারিও বাড়তে পারে। হয়তো সেখানে তারা রাজস্ব ঠিক মতো দিচ্ছে না। তাছাড়া অবৈধভাবে মদ বিক্রির বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থাও আছে।''
ভেজাল মদ: বাংলাদেশে কেন হঠাৎ তৈরি হয়েছে বিদেশি মদের সংকট?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
চট্টগ্রামে সাবমেরিন দুটির কমিশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চীনের কাছ থেকে পাওয়া দুটি সাবমেরিন রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবহরে যুক্ত করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবমেরিন দুটির নাম দেয়া হয়েছে নবযাত্রা এবং জয়যাত্রা। চট্টগ্রামের বিএনএস ঈসা খাঁ নৌ জেটিতে ঘটা করে যার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলছেন, "আমরা কারো সাথে কখনো কোন যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাইনা। কিন্তু যদি কেউ আমাদের আক্রমণ করে তাহলে আমরা যেন তার সমুচিত জবাব দিতে পারি সেই প্রস্তুতি আমাদের সবসময় থাকবে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছি।" নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ঠিক এমনটাই প্রস্তুত থাকাটাই তাদের উদ্দেশ্য। এই একই ধরনের ডুবোজাহাজ ব্যবহার করে চীনের নৌবাহিনী আর তাদের কাছ থেকেই ব্যবহৃত দুটো সাবমেরিন কিনেছে বাংলাদেশ। সংস্কারের পর গত বছরের শেষের দিকে সেটি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল এএসএমএ আউয়াল বলছেন, "আগে স্থল ও আকাশ পথে হুমকি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের ছিলো। এ দুটি সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের নৌবাহিনী জল, স্থল ও আকাশপথ তিন ক্ষেত্রেই সক্ষমতা অর্জন করলো।" বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সক্ষমতা আগের থেকে বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। নৌবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুটো সাবমেরিনই ডিজেল-ইলেকট্রিক চালিত। সাবমেরিন দুটি টর্পেডো এবং মাইন দ্বারা সুসজ্জিত যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনকে আঘাত করতে সক্ষম। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭ নটিক্যাল মাইল। প্রতিটি ডুবোজাহাজে থাকছেন ৫৭ জন কর্মকর্তা ও ক্রু। প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল জেনস ডিফেন্স উইকলি বলছে, এই সাবমেরিনের এর ক্রয় মূল্য ২০৩ মিলিয়ন ডলার। যদিও ক্রয় মূল্য সরকারের তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু ঠিক কী ধরনের হুমকি মোকাবেলায় এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলো? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এহসানুল হক বলছেন, বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে কোন হুমকি না থাকলেও এর গুরুত্ব আসলে কৌশলগত। তিনি বলছেন, "মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমা নির্ধারণের পরে বাংলাদেশ বিশাল একটি সমুদ্র এলাকার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের দায়িত্বও বেড়ে গেছে অনেক, বিশেষ করে নৌবাহিনীর। বাংলাদেশের নৌবাহিনী অনেক দুর্বল অবস্থানে ছিলো। সেই প্রেক্ষাপট থেকে তার সক্ষমতা আগের থেকে বাড়ানোর দরকার ছিলো।" অন্যদিকে রিয়ার এডমিরাল আউয়াল বলছেন, বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য মূলত চলে সমুদ্রে পথে। আর সেই সাথে সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধানে বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা সেই কার্যক্রমের নিরাপত্তা দেয়াও একটি উদ্দেশ্য। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর একটি। কূটনৈতিক দিক দিয়েও খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই সাবমেরিন ক্রয়কে। তবে সম্ভবত এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সক্ষমতা জানান দেয়াটাও একটি উদ্দেশ্য।
যে কারণে বাংলাদেশ সাবমেরিন কিনেছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সকালে একটি সংবাদ সম্মেলন করে দলটির একাংশ জেনারেল এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে তাদের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে দলটির আরেক অংশ জিএম কাদেরকে তাদের বৈধ চেয়ারম্যান বলে দাবি করে। জিএম কাদের জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসব ঘোষণায় দলটি আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে বলে এর নেতাকর্মীদের অনেকে বলেছেন। এই দুই শীর্ষ নেতাই সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হতে চেয়ে সংসদে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। রওশন এরশাদের ঘোষণা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটির একাংশের নেতারা রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণার পাশাপাশি তাদের আরেকজন শীর্ষ নেতা জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদে থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন। এই সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদও বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির ঐক্য ধরে জন্য নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানান। তিনি বলেছেন, "এরশাদ সাহেব তিল তিল করে এই পার্টিটাকে গড়ে তুলেছেন। এর ঐক্য আমরা ধরে রাখবো।" "তাই আমি সবাইকে বলবো, আসুন আমরা পার্টির ঐক্য অটুট রাখি। পুরনো যারা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের আমরা বলবো, আপনারা ফিরে আসুন। মান-অভিমান নিয়ে থাকবেন না। আসুন আমরা একসাথে পার্টি করি।" আরো পড়ুন: এরশাদ: কবিখ্যাতির জন্য ব্যাকুল এক সেনাশাসক জেনারেল থেকে রাজনীতিক এরশাদের উত্থান যেভাবে মধ্যরাতে জেনারেল এরশাদের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন জিএম কাদের জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। জাতীয় পার্টির যে অংশটি রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নেতৃত্ব নিয়ে এসব ঘোষণা দেন, তাদের মধ্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এই অংশটি মশিউর রহমান রাঙাকেই তাদের পার্টির মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে মি: রাঙা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। তাকে গত কয়েকদিন ধরে জিএম কাদেরের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। জিএম কাদের সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই জিএম কাদের পাল্টা একটি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ''দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, সে হিসাবেই তিনি বৈধভাবে পার্টির চেয়ারম্যান রয়েছেন।'' জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে গেল কিনা বা বিভক্ত হলো কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''কেউ ঘোষণা দিলেই পার্টি ভাগ হয়ে যায় না।'' এ সময় দলে জিয়াউদ্দিন বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মি. কাদের। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসনের দফায় দফায় পরাজয় পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে আবহাওয়া কেমন? রাতে ইন্টারনেট বন্ধ রোহিঙ্গা শিবিরে, বিদেশি এনজিও বন্ধ জেনারেল এরশাদ বেঁচে থাকতেই তাঁর দল জাতীয় পার্টি বিভিন্ন সময় কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছিল জেনারেল এরশাদের মৃত্যুতে রংপুরের একটি সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পর সেখানে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। সেই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেও জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসে। জেনারেল এরশাদ বেঁচে থাকতেই তাঁর দল জাতীয় পার্টি বিভিন্ন সময় কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছিল। এখন পারিবারিক এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে দলটিতে বিভক্তি আবারও দৃশ্যমান হচ্ছে।
জাতীয় পার্টি: পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের, দুজনকেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করছেন তাদের অনুসারীরা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
রাতের অন্ধকারে পুলিশ তাড়া করলে দুর্ঘটনায় পড়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী গাড়ি। একসাথে হয়ে ১৯৮৯ সালে বিপ্লব শুরু করেছিলেন তারা যাতে পতন ঘটেছিল কমিউনিস্ট একনায়ক নিকোলাই চসেস্কুর। এখনও এই শহর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজনকে স্বাগত জানাচ্ছে, অন্তত তাদেরকে সহ্য করে নিচ্ছে। এরা আফগান, পাকিস্তানি, কুর্দি কিম্বা সিরিয়ান নাগরিক। তাদের সবারই গন্তব্য পশ্চিম ইউরোপ। দীর্ঘ পথ চলতে গিয়ে মাঝে কয়েকদিনের জন্যে শুধু আশ্রয় নেওয়া এই তিমিসোরা শহরে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই শহরের স্থানীয় লোকজনের আতিথেয়তায় ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে তিমিসোরার প্রেমে পড়ে গেছেন এবং এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পশ্চিম ইউরোপে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই তাদের জীবন সঁপে দিয়েছেন পাচারকারীদের হাতে। গত বছরের অক্টোবর মাসে এখান থেকেই ১৮ জনের একটি দল যাত্রা শুরু করেছিল পশ্চিম ইউরোপ অভিমুখে। যাত্রাপথে তাদের একজন নারী, যিনি দুটো যমজ বাচ্চার মা এবং পাচারকারী ব্যক্তি এই দু'জন মারা গেছেন। রোমানিয়ার সাথে হাঙ্গেরির সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা। স্থানীয় একজন পাচারকারীর নেতৃত্বে তারা যাত্রা শুরু করেন ২০১৭ সালের ১লা অক্টোবর। তাদের গন্তব্য জার্মানি অথবা ইতালি। কিন্তু প্রথমে সীমান্ত পার হয়ে পৌঁছাতে হবে হাঙ্গেরি। তাদের কেউ কেউ কুর্দিস্তানে থাকতেই একে অপরকে চিনতেন। বাকিরা তিমিসোরা শহরে এসে অন্যদের সাথে পরিচিত হয়েছেন। রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তারা হাঁটতে শুরু করেন। টানা দুই রাত ধরে তারা হাঁটতে থাকেন। দিনের বেলায় তারা লম্বা লম্বা ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে লুকিয়ে থাকতেন। আবার হাঁটা শুরু করতেন অন্ধকার নেমে এলেই। তাদেরই একজন আইদি বলেন, "খুব ঠাণ্ডা ছিল সেসময়।" সাফা নামের আরেকজন বলেন, "শিশু আর নারীদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ।" তৃতীয় দিন রাতের বেলায়, রাত ঠিক দুটোর দিকে, তিউনিসিয়ার একজন পাচারকারী একটি কালো ভ্যান গাড়িতে তাদের তুলে নিয়ে যায়। ওই ভ্যানের প্লেট নম্বরটি ছিল ইতালির। তারপর তারা যাত্রা শুরু করেন সীমান্তের দিকে। মুরাত নামের একজন বলেন, "আমার ধারণা হাঙ্গেরির পুলিশ ইতোমধ্যেই আমাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। কারণ তারা খুব দ্রুতই আমাদের পেছনে এসে ধাওয়া করতে শুরু করলো।" পাচারকারী চালক যখন তার গাড়ির আয়নায় নীল আলোর ফ্ল্যাশ দেখতে পেলো - তখন সে চিৎকার করে তার যাত্রীদেরকে গাড়ির ভেতর থেকে নেমে যেতে বললো। চালক তখন অসম্ভব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করলো। তখনই গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা খেলো পুলিশের একটি রোডব্লকের সাথে। সেখানেই প্রাণ হারালেন ন'বছর বয়সী দুটো যমজ বাচ্চার মা, বারান। আর পাচারকারী চালক মারা গেলেন পরদিন। এই দুজনকে রোমানিয়াতে ফেরত পাঠানো হলেও পরে তারা জার্মানিতে চলে আসতে সক্ষম হন। আরো পড়তে পারেন: ভারতে বিজিবির সন্তানদের লেখাপড়া, স্ত্রীদের সফর মিয়ানমারে যে কারণে দুই সাংবাদিকের জেল হলো হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা যে ১৭ জন প্রাণে বেঁচে গেলেন তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলো। তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল হালি নামের এক ইরাকি নারীর। তার হাত ও পা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গার হাড় এমনভাবে ভেঙে গিয়েছিল যে তিনি উঠেও বসতে পারতেন না। তার স্বামী ইরাকে। এক ছেলে জার্মানিতে। ওখান থেকেই তারা পাঠিয়েছে চিকিৎসার খরচ। হালির এক ছেলে সাফা আছেন তার সাথে। হাসপাতালের কাছেই অল্প খরচে একটা থাকার জায়গা ভাড়া করেছেন তারা। চিকিৎসার বিল ইতোমধ্যেই ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। হাতে আর কোন টাকা পয়সা নেই তাদের। সাফা বলেছেন, হাঙ্গেরির সরকার নতুন যে আইন পাস করেছে সেখানে অভিবাসী এবং অভিবাসীদেরকে কেউ সাহায্য সহযোগিতা করলে তাকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হাসপাতালে তারা যে চিকিৎসা পেয়েছেন তাতে তারা খুশি। তবে তাদের সাথে হাঙ্গেরির পুলিশের আচরণে তারা খুশি হতে পারেন নি। তারা জানান, সবসময় ওয়ার্ডে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। তারা সুস্থ হয়ে গেছে এরকম কাগজপত্রে সই দেওয়ার জন্যে ডাক্তারদেরকে তারা অনেক চাপ দিয়েছে, যাতে তাদেরকে অচিরেই রোমানিয়ায় ফেরত পাঠানো যায়। একসময় সবাইকে তিমিসোরায় ফেরত পাঠানো হলো। এতিম ওই দুই যমজ শিশু রয়ে গেল হাঙ্গেরিতে। তাদের সাথে ছিল ১২ বছর বয়সী আরো একটি মেয়ে-শিশু। সে একাই ছিল ওই দলে। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে হালিকেও ফেরত পাঠানো হয়নি। তার দুই শিশুও রয়ে গেল তার সাথে, হাঙ্গেরিতে। কিন্তু এখানেই যাত্রা শেষ হয়নি বাকিদের। তাদের একজন আখির খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে লরিতে করে পৌঁছে গেছেন জার্মানিতে। এজন্যে তার সময় লেগেছে ৩৭ ঘণ্টা। আশ্রয় চেয়ে জার্মান সরকারের কাছে তিনি আবেদনও করেছেন। আরো তিনজন গত মে মাসে এসে পৌঁছেছেন জার্মানির হানোফার শহরে। তার আগে তাদেরকে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বন্দী শিবিরে দু'মাস কাটাতে হয়েছে। তারা আসছিলেন একটি লরিতে করে। ধরা পড়লে তাদেরকে ওই শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিমিসোরা থেকে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম ইউরোপে- একটি মানচিত্র। তিমিসোরায় গুজব হচ্ছে এরকম যাত্রার জন্যে পাচারকারীকে দিতে হয় দু'হাজার ডলার আর সীমান্ত রক্ষীদের আরো এক হাজার ডলার। হাঙ্গেরির পুলিশ অবশ্য এরকম অভিযোগ স্বীকার করেনি। আইদি, যিনি জার্মানির একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন, তিনি বলেন, ভয় তাকে এতোটা তাড়া করেছিল যে তার মনে হয়েছিল পুলিশ তাকে এখানেও এসে খুঁজে বের করবে। ট্রাকের পেছনে লুকিয়ে সামির গত এপ্রিল মাসে চলে গেছেন ইতালি। দুই যমজ কন্যাকে দত্তক নিয়েছে জার্মানিতে তাদেরই কিছু আত্মীয় স্বজন। হুরিয়াকে নিয়েছেন ভিয়েনাতে তার এক খালা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মধ্যস্থতায় সাফা এবং হালিকে রাখা হয়েছে হাঙ্গেরির একটি আশ্রয় কেন্দ্রে। পরিবারের সাথে একত্রিত হওয়ার জন্যে তাদের আবেদন জার্মান সরকার অনুমোদনও করেছে। বাকিদের সাথেও যোগাযোগ করে জানা গেছে যে তারা এখন জার্মানিতে। ওমর নামের একজনকে জার্মানি থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রোমানিয়ায়। দুর্ঘটনার প্রায় ন'মাস পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই পশ্চিম ইউরোপে তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দুর্ঘটনার ভয়াল সেই স্মৃতি তাদেরকেও এখনও তাড়া করছে। রাজনীতিকরা যতোই দাবি করুক না কেন যে অভিবাসীদের ইউরোপে আসার পথ বলকান রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারপরেও এই পথে লোকজনের আসা অব্যাহত রয়েছে।
মাসের পর মাস চেষ্টার পর একদল অভিবাসী যেভাবে ইউরোপে পৌঁছাল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গবেষকরা বলছেন, নবজাতকের স্বাস্থ্যের সাথে সম্ভাব্য মা কিভাবে ঘুমাচ্ছেন তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে মৃত সন্তান প্রসব প্রতিরোধে সন্তানসম্ভবা নারীদেরকে একপাশে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গর্ভধারণ কালের শেষ তিন মাস সম্ভাব্য মায়েদেরকে এভাবেই ঘুমাতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটেনে প্রায় এক হাজার নারীর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পিঠের ওপর চিৎ হয়ে ঘুমালে মৃত শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। গবেষণায় ২৯১ জন গর্ভবতী নারীর উপর নজর রাখা হয়েছিলো যারা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন এবং ৭৩৫ জন নারী জন্ম দিয়েছে জীবিত শিশুর। এই সমীক্ষার পর গবেষকরা বলছেন, নবজাতকের স্বাস্থ্যের সাথে সম্ভাব্য মা কিভাবে ঘুমাচ্ছেন তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এবং ঘুমানোর এই ভঙ্গিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারা এও বলছেন, ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সন্তানসম্ভবা নারী যদি দেখেন যে তারা তাদের পিঠের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। ব্র্যাডফোর্ডের একজন নারী গ্রেইস, প্রেগনেন্সির ৩৫ সপ্তাহের মাথায় তার সন্তানকে হারিয়েছেন। তিনি বলছেন, "আমি জানতাম কিছু একটা ভুল হয়েছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে। আমি হাসপাতালে ছুটে গেলাম। তারা মনিটর অন করে সেখানে শিশুর হার্টবিট খুঁজে পেল না। আমার জীবনের খুব কষ্টকর মুহূর্ত ছিলো সেটি- যখন দেখলাম আমার সন্তান তার জন্মের আগেই মারা গেছে।" গ্রেইস এখনও জানেন না কি কারণে তার গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছিলো। চিৎ কিম্বা উপুড় হয়ে ঘুমালে মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি কেন বেড়ে যায় সেবিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে ২২৫টি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি মৃত শিশুর জন্ম হয়। বলা হচ্ছে, সম্ভাব্য মা যদি একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে যান তাহলে বছরে ১৩০টির মতো নবজাতকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। ব্রিটিশ জর্নাল অফ অবসটেট্রিক্স এন্ড গাইনোকলজি এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এর আগে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতেও একই ধরনের গবেষণাতেও সন্তানসম্ভবা মায়েদেরকে প্রায় একই রকমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। ম্যানচেস্টারে এই গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক প্রফেসর আলেকজান্ডার হেজেল এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, গর্ভবতী নারীদেরকে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে সেটি হলো- তারা কি পজিশনে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। "এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই অবস্থানেই তিনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। আর ঘুম থেকে উঠার পর নিজেকে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ ওই পজিশন নিয়ে কিছু করার আর কোন সুযোগ নেই। কিন্তু কি পজিশনে ঘুমাতে যাচ্ছেন সেবিষয়ে নারীরা অনেক কিছু করতে পারেন। চিৎ হয়ে কিম্বা উপুড় হয়ে ঘুমালে মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি কেন বেড়ে যায় সেবিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে- নারীরা যখন পিঠের উপর শুয়ে থাকে তখন শিশু এবং গর্ভাশয় এই দুটোর মোট ওজন রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ তৈরি করে। এর ফলে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেনের প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে। একপাশে কাত হয়ে কিভাবে ঘুমানো যায় তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা: তবে ডান দিকে বা বাম দিয়ে কাত শোওয়ার মধ্যে গবেষণায় কোন পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
মৃত সন্তান প্রসব ঠেকাতে নারীদের কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ এক গবেষণায়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মামুনুল হক মামুনুল হককে কয়েক ঘন্টা সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখার পরে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা পাল্টা হামলা চালিয়ে তাকে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ বলছে, ঢাকার কাছেই সোনারগাঁও এলাকায় অবস্থিত একটি রিসোর্টে শনিবার বিকেলে তাকে ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় কিছু লোকজন এবং ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছেন। অন্যদিকে মামুনুল হক বলেছেন, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন। এক পর্যায়ে পুলিশও সেখানে উপস্থিত হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের ভেতরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছে। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, "এই মহিলা কী হয় আপনার?" জবাবে মামুনুল হক বলেন, "আমার সেকেন্ড ওয়াইফ। আমি তাকে শরিয়তসম্মত ভাবে বিয়ে করছি।" তখন আরেক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, "আপনি কবে বিয়ে করছেন?" জবাবে মামুনুল হক বলেন, "দুই বছর।" মামুনুল হক বলেন, তিনি বেড়াতে সে রিসোর্টে গিয়েছেন। ভিডিওতে মামুনুল হককে বলতে দেখা যায়, "আপনারা সবাই আমার সাথে দুর্ব্যবহার করছেন। " ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছেন এবং কেউ কেউ নিজেকে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ হিসেব পরিচয় দিচ্ছিল। আরো পড়তে পারেন: ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন মামুনুল হক। সফরের দিনে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের বিক্ষোভ। মামুনুল হককে যখন তার কক্ষে ঘেরাও করে রাখা হয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও থানার ওসি অপারেশন্স মফিদুর রহমান। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, মামুনুল হকের সাথে যে নারী ছিল তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। মি. রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা মামুনুল হকের সাথে আলোচনা করছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এদিকে মামুনুল হককে লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যে সাতটার পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রয়েল রিসোর্টে এসে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের হাতে মামুনুল হককে তুলে দেয়া হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল রাত নয়টার দিকে মামুনুল হককে আনতে নারায়ণগঞ্জে যান। সেখান থেকে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, মামুনুল হককে যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে বলে জানান মোহাম্মদ ফয়সাল। হেফাজতের সমর্থক এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালায়নি বলে দাবি করেন মি. ফয়সাল। তিনি বলেন, "মাওলানা মামুনুল হক একজন জনপ্রিয় আলেম। ওনাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষজন হয়তো সেখানে গিয়েছে।" এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, পুলিশ মামুনুল হককে হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দেয়নি। পুলিশ সুপার বলেন, "ওনার দ্বিতীয় বিয়ে সস্পর্কে আমরা যাচাই-বাছাই করছিলাম। এ সময় তার লোকজন সেখানে এসে উপস্থিত হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় তিনি চলে যান।"
মামুনুল হক: রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর হেফাজত নেতার সমর্থকরা তাকে 'ছিনিয়ে নেয়'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সৌদি আন্দোলনকারী আজিজা আল ইউসেফ গাড়ি চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদের আটক করার পেছনে কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছে যে সৌদি নারীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে 'বিদেশি শক্তি'র সাথে সম্পর্ক থাকার কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা সাত। এদের মধ্যে দু'জন পুরুষ। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন লাউজাইন আল-হাতলুল এবং এমান আল-নাফজান। এরা দুজনেই সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। আগামী ২৪শে জুন মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিজ নাফজান এবং মিজ নুর ২০১৬ সালে সরকারের কাছে এক পিটিশনে সই করেছিলেন যেখানে সৌদি নারীদের ওপর পুরুষদের অভিভাবকের কর্তৃত্ব বিলোপ করার ডাক দেয়া হয়। আরো দেখুন: ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্প থেকে দেড় লক্ষ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে উইন্ডসর প্রাসাদে হ্যারি-মেগানের রূপকথার বিয়ে ২০১৬ সালে ক্যানাডায় এক অনুষ্ঠানে লাওজাইন আল-হাথলুল (সর্বডানে।) ছবিতে সাসেক্সের নতুন ডাচেস মেগান মার্কলকেও দেখা যাচ্ছে (সর্ব বাঁয়ে)। এই কর্তৃত্বের কারণে সৌদি নারীরা নিজের ইচ্ছেমত বিয়ে করতে পারেন না, একা একা বিদেশে যেতে পারেন না, এবং পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। মিজ হাথলুলকেও এপর্যন্ত দু'বার গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের একটি ঘটনায় তিনি গাড়ি চালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে চেয়েছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, গত ১৫ই মে তাদের সবাইকে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের গ্রেফতারের পেছনে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দেখায়নি। সৌদি সরকার গত সেপ্টেম্বর মাসেই নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেয়ার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই সংস্কার কার্যকর হবে জুন মাস থেকে।
নারী আন্দোলনকারীদের জেলে পুরেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মইনুল হোসেন সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে মইনুল হোসেনকে। এই ফ্রন্ট মনে করছে, মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণেই। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন। সাবেক সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মি: হোসেন সম্প্রতি বিভিন্ন টক-শোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনাও করেছেন। তবে তার নামে মামলা হয় একটি টিভি অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলার পর। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী রুমিন ফারহানা মনে করেন, মি: হোসেনের বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক মামলা করা হয় - তার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। অবশ্য তিনি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলার কারণে যারা প্রতিবাদ করেছেন - তাদের সাধুবাদও জানান। "এই একটি বিশেষ ঘটনায় আমরা সমস্ত রাষ্ট্র-যন্ত্রকে অত্যন্ত তৎপর দেখেছি। অবশ্যই বিষয়গুলো তো কিছুটা প্রশ্নের জন্ম দেয়।," বলছিলেন রুমিন ফারহানা। তিনিও মনে করেন, জাতীয় ঐক্য ফ্রণ্টের সাথে মইনুল হোসেন সম্পৃক্ত থাকার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সাথে ঐক্য ফ্রন্টের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জমি দখল এবং চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, "হঠাৎ কেন এ মামলাগুলো একসাথে নড়ছে-চড়ছে? হঠাৎ কেন এ মানুষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে? এটা তো প্রশ্নের জন্ম দেয়। তারা যদি ঐক্য প্রক্রিয়ায় না থাকতো তাহলে হয়তো ঘটনাগুলো এভাবে ঘটতো না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: হাসিনা-খালেদা গ্রেপ্তার নিয়ে মইনুল যা বলেছিলেন মানহানির মামলায় মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার মাসুদা-মইনুল বিতর্কে ঢুকে পড়লেন তসলিমা নাসরিন ৭১ টিভির যে অনুষ্ঠান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বেসরকারি সংস্থা উবিনীগ-এর ফরিদা আক্তার মনে করেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট হয়তো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ঐক্য ফ্রন্টকে দূর্বল করার জন্য এর সাথে সম্পৃক্তদের প্রশ্নবোধক করার জন্য হয়তো আওয়ামী লীগ মইনুল হোসেনকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, এমনটাই মনে করেন ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে যারা মামলা দায়ের করেছেন তাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। মইনুল হোসেনকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোভাব বুঝতে পেরে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা বলছেন। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, মইনুল হোসেনকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে মামলাও দায়ের করা হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, সমাজের 'সচেতন মানুষ' মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এর সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। "আমাদের দল থেকে কোন নির্দেশনা নেই। সেটা করলে ওবায়দুল কাদের করতো কিংবা কমিটিতে যারা আছে তারা করতো। আমি করতাম। আমরা কিন্তু এ ধরণের মামলা করতে যাইনি," বলেন আব্দুর রাজ্জাক। ড. রাজ্জাক বলেন, 'জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকে' আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খাসোগজির দেহ কোথায়? জানতে চাইলেন এরদোয়ান খাসোগজিকে খুন করা হয়েছে, নতুন সৌদি স্বীকারোক্তি খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব
মইনুল হোসেনকে 'রাজনৈতিকভাবে' নিয়েছে আওয়ামী লীগ?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
জাতিগত বৈচিত্র্যে ভরা এবারের ফরাসি দল। এর মধ্যে তিনটি দেশের শুধু ভৌগলিক নয় অন্য আরো একটা বিষয়ে মিল রয়েছে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম আর ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের একটা বড় অংশ অভিবাসী পরিবার থেকে এসেছে। যেমন ফ্রান্সের তেইশ সদস্যের স্কোয়াডের ষোলো জনের অভিবাসী বাবা অথবা মা রয়েছেন। দুইজন আছেন যারা ফ্রান্স শাসিত ক্যারিবিও দ্বিপে জন্ম নিয়েছেন। বেলজিয়ামের এগারো জন এবং ইংল্যান্ডের ছয়জন খেলোয়াড়ের ঠিক একই রকম অভিবাসী বাবা অথবা মা রয়েছেন। ইংল্যান্ডের চারজন খেলোয়াড় আফ্রো-ক্যারিবিও বংশপরিচয় রয়েছে। এর মধ্যে রাহিম স্টারলিং এর জন্ম জ্যামাইকায়। ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপের বাবা। ফ্রান্স স্কোয়াডে জাতিগত বৈচিত্র্য থাকাটা খুব একটা অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার নয়। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের যে দলটি বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেটিকে 'দ্যা রেইনবো টিম' আখ্যা দেয়া হয়েছিলো। রেইনবোর যেমন হরেক রং তেমটি সেদলেও নানা জাতির উপস্থিতির কারণে এমন নামকরণ। তবে ২০০২ সালে উগ্র ডানপন্থী প্রার্থী জঁ মারি ল্য পেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপ উৎরে যাওয়ার পর ফ্রান্সের ঐ একই স্কোয়াডের মিশ্র জাতির খেলোয়াড়েরা দল বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তিনি অবশ্য চূড়ান্ত পর্বে পরাজিত হয়েছিলেন। ফ্রান্সের গত বছরের নির্বাচনে তার মেয়ে মারিন ল্য পেন তার বাবার চেয়েও ভালো সাফল্য পেয়েছিলেন। মারিন ল্য পেন ফরাসি জাতিয় দল সম্পর্কে বলেছিলেন তিনি তার দেশ ফ্রান্স অথবা নিজেকে আর চিনতে পারেন না। এবার অবশ্য ফরাসি দলের মিশ্র জাতির খেলোয়াড়েরা দল বর্জনের ঘোষণা দেননি। এবারের বিশ্বকাপে তারা এখন কাপ জয়ের ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই ফেভারিট বলে বিবেচিত হচ্ছেন। আরও পড়ুন: এমবাপে: কীভাবে হলেন ফরাসী ফুটবলের নতুন সেনসেশন বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার মতো ফ্রান্সের তেইশ সদস্যের স্কোয়াডের ষোলো জনের অভিবাসী বাবা অথবা মা রয়েছেন। অন্যদিকে বেলজিয়ামের এগারো জন খেলোয়াড়ের বাবা অথবা মায়ের জন্ম সেদেশের বাইরে অন্য কোথাও। অর্থাৎ তাদের বাবা অথবা মা অভিবাসী। রোমেলু লুকাকু ও ভিনসেন্ট কম্পানির বাবা কঙ্গো থেকে এসেছেন। মজার ব্যাপার হল লুকাকুর বাবা ১৯৯০-এর দশকে যায়ারের জাতিয় দলের হয়ে খেলেছেন। যে দেশটি এখন কঙ্গো নামে পরিচিত। ২০০২ সালের বেলজিয়াম দলের সাথে বর্তমান দলের জাতিগত দিক দিয়ে বিশাল পার্থক্য। তখন মোটে দুজন খেলোয়াড় অভিবাসী পরিবার থেকে এসেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্র হিসেবে বেলজিয়াম এখন খুব বড় ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভক্তির মুখে রয়েছে। সেখানে দুটি ভাষা প্রধান এলাকা রয়েছে। ফরাসি ভাষা প্রধান ওয়ালোনিয়া আর ফ্লেমিশ প্রধান ফ্ল্যান্ডার্স। বেলজিয়ামের এগারো জন খেলোয়াড়ের বেলায়ও তাই। সেখানে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাও রয়েছে। ২০১০ সালে দেশটির নির্বাচনে ফ্লেমিশ প্রধান দল জয়ী হওয়ার পর একধরনের রাজনৈতিক স্থবিরতা তৈরি হয়। যার ফলে ৫৪১ দিন দেশটিতে কোন সরকার ছিল না। এসব কিছুর বিবেচনায় এবারের বেলজিয়াম দলকে একটি অনন্য দল বলা যেতে পারে। যে দলে রয়েছে ঐ দুই অঞ্চল আর অভিবাসী খেলোয়াড়। যাদের কোচ আবার স্প্যানিশ। বেলজিয়ানরা তাদের ফুটবল দলকে ঘিরে যেন সাময়িকভাবে হলেও রাজনীতির ঊর্ধ্বে চলে গেছে। বিশ্বকাপ দেখতে আসা বেলজিয়ামের এক বাসিন্দা ইয়ান আর্টসেন বলছেন, "আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে বিশ্বকাপে আসিনি। এবারের বিশ্বকাপ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য একটি উৎসবের সুযোগ করে দিয়েছে। এমন একটি দলকে সমর্থনের সুযোগ করে দিয়েছে যারা বেলজিয়ামের সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে" বেলজিয়াম দল দেশটিকে যেন রাজনৈতিক বিভেদ ভুলিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলছিলেন, "যারা বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থক তারা জানে না এর ফলে আমাদের ফুটবল দলটি কতটা দুর্বল হয়ে পড়বে" অভিবাসীদের সন্তানের ইংল্যান্ড দলেও রাজত্ব করছেন। ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট ও তার দলের এতটা সাফল্য কেউই চিন্তা করেননি। এই দলের ছয়জনের অভিবাসী বংশপরিচয় রয়েছে। এর মধ্যে জ্যামাইকায় জন্ম নেয়া রাহিম স্টারলিং যে কারোর থেকে বেশি সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন। ম্যানেজার সাউথগেট বলছিলেন, "আমরা এমন একটি দল যার জাতিগত বৈচিত্র্য আর তারুণ্য আধুনিক ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে" তিনি আরো বলছিলেন, "নিজেদের আধুনিক পরিচয় নিয়ে আমরা কিছুদিন পথ হারিয়েছিলাম। আমাকে হয়ত ফুটবলের মাঠের ফল নিয়েই বেশি বিচার করা হবে। কিন্তু আমাদের অন্য আরো অনেক বিষয়ে প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। যা খেলার থেকেও অনেক বড়" ইংল্যান্ড দলেও রয়েছে জাতিগত বৈচিত্র্য। জাতিগত বৈচিত্র্য নিয়ে এই দলগুলো বেশ গর্ব নিয়ে কথা বললেও বিশেষজ্ঞরা এর দীর্ঘ মেয়াদি ভূমিকা নিয়ে সাবধান করে দিচ্ছেন। ইউরোপীয় ফুটবলে বর্ণবৈষম্য নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন 'ফেয়ার নেটওয়ার্ক'। এর প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরা পাওয়ার বলছেন, জাতিগত বৈচিত্র্য আছে এমন দল সবসময় মানুষের মনে দীর্ঘমেয়াদি ছাপ ফেলে বিষয়টি তেমন নয়। তিনি বলছেন, "জাতিগত বৈচিত্র্যের যে একটা ইতিবাচক দিক তা শুধু মাস-কয়েক থাকে। এই ধরুন ফুটবল সমালোচকরা প্রতিটি খেলায় রাহিম স্টারলিং এর মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খেলোয়াড় সম্পর্কে খুঁটি নাটি সব কিছু যাচাই করে" তিনি আরো বলছেন, "ধরুন ইংল্যান্ড যদি সেমিতে হারে তাহলে স্টারলিংকে বলির পাঠা বানানো হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই। যেমনটা জার্মানদের প্রথম রাউন্ডে বিদায়ের পর তাদের তুর্কি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় মেসুত ওযিলের বেলায় হয়েছে" কিন্তু তবুও সবমিলিয়ে অভিবাসীদের ইউরোপীয় ফুটবলে যে ভূমিকা তা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। রাহিম স্টারলিং এর জন্ম জ্যামাইকায়।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮: ইউরোপিয়ানদের ফুটবলে সাফল্যের পেছনে অভিবাসীদের ভূমিকা কি?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
প্রাণভিক্ষা চাইছেন তাবরেজ আনসারী। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২৪ বছর বয়সী মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারীকে ভিডিওতে তার প্রাণভিক্ষা চাইতে দেখা যায়। তার মুখ রক্তাক্ত, চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে পানি। হামলকারীরা তাকে বাধ্য করে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দিতে। হিন্দিতে জয় শ্রীরাম মানে হচ্ছে দেবতা রামের জয়। উন্মত্ত হিন্দু জনতার হামলার মুখে তাবরেজ আনসারী বাধ্য হলেন 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিতে। এরপর তাকে তুলে দেয়া হলো পুলিশের হাতে। পুলিশত তাকে হাজতে পাঠালো। তার পরিবারকে পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হলো না। চারদিন পর আহত তাবরেজ আনসারী মারা গেলেন। তাবরেজ আনসারীই একমাত্র মুসলিম নন যার ওপর এভাবে হামলা করা হলো। জুন মাসটি ছিল ভারতীয় মুসলিমদের জন্য বেশ রক্তাক্ত একটি মাস। আরও অনেক মুসলিম একই ধরণের হামলার শিকার হয়েছিলেন ভারতের নানা জায়গায়। আসাম রাজ্যের বড়পেটা জেলায় একদল মুসলিম তরুণের ওপর একই ভাবে হামলা চালানো হয়। তাদেরকেও 'জয় শ্রীরাম', 'ভারত মাতা কি জয়' এবং 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' ধ্বনি দিতে বাধ্য করা হয়। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে ২৫ বছর বয়সী এক মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভারকে মারধোর এবং অপমান করে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দিতে বলা হয়। ফয়জল ওসমান খান জানিয়েছিলেন, তার ট্যাক্সি যখন বিকল হয়ে পড়েছিল, তখন তিনি সেটি ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন। তখন তার ওপর হামলা হয়। একজন যাত্রী পুলিশে খবর দেয়ার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাবরেজ আনসারী হত্যার বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিক্ষোভ একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ সাহরুখ হালদার ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। ট্রেনে একদল লোক 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দিতে দিতে তাকে নাজেহাল করে। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, হামলাকারীরা তার কাপড়-চোপড় এবং দাড়ি নিয়ে বিদ্রুপ করে এবং তাকেও 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিতে বলে। তিনি যখন অস্বীকৃতি জানান, তখন তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরে আঘাত পেয়েছেন। তবে 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিয়ে লোকজনকে হেনস্থা করাটা কেবল রাস্তাঘাটেই সীমাবদ্ধ নেই। এই শ্লোগান এখন ঢুকে গেছে ভারতীয় পার্লামেন্টেও। গত ১৭ই জুন নতুন পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের প্রথম অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। মুসলিম এবং বিরোধী এমপিরা যখন শপথ নিতে উঠে দাঁড়ালেন, তখন নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা তাদের হেনস্থা করে। সংখ্যালঘুদের ওপর এই আক্রমণের নিন্দা করেছেন বিরোধী রাজনীতিকরা। রাহুল গান্ধী বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতির পদে ইস্তফা দেয়ার আগে বলেছিলেন, তাবরেজ আনসারীকে যেভাবে জনতা হত্যা করেছে, তা মানবতার কলংক। এরকম ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেক সমালোচকই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। কার্টুনিস্ট সতীশ আচার্য এদের একজন। কার্টুনিস্ট সতীশ আচার্য্য মনে করেন রামের নামে এই সহিংসতা ভারতে ধর্মীয় বিবাদ উস্কে দেবে। উত্তর ভারত জুড়ে গ্রামাঞ্চলে ধার্মিক হিন্দুদের মধ্যে 'রাম রাম', 'জয় সিয়া রাম' এবং 'জয় রাম জি কি' বলে লোকজনকে অভ্যর্থনা জানানোর রেওয়াজ আছে। কিন্তু এখন এই রামের নাম ব্যবহার করেই যে এভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক মানুষই অস্বস্তিতে আছেন। কারণ হিন্দুদের কাছে রাম হচ্ছেন ন্যায়বিচার এবং দয়াশীলতার প্রতীক বলে পরিচিত একজন দেবতা। কিন্তু 'জয় শ্রীরাম' যেন এখন হত্যার হুংকারে পরিণত হয়েছে। ভিন্ন ধর্মের মানুষকে হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই ধ্বনি। রাজনৈতিক শ্লোগান হিসেবে এর ব্যবহার প্রথম শুরু হয় আশির দশকের শেষের দিকে। বিজেপি তখন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছে, এর পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। দলের তৎকালীন সভাপতি লাল কৃষ্ণ আদভানি রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে এক পদযাত্রা শুরু করলেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এরা 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দিয়েই বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেললো। বিজেপির বিশ্বাস, এই বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে একটি রামমন্দির ধ্বংস করে তার জায়গায়। এই আন্দোলন ভারতে হিন্দু ভোটারদের উজ্জীবিত করে এবং বিজেপির জনসমর্থন বাড়তে থাকে। হিন্দু দেবতা রাম রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হলেন। তারপর থেকে বিজেপি প্রতিটি নির্বাচনে রামকে ব্যবহার করেছে, এবারের নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। সমালোচকরা বলেছেন, পার্লামেন্টের ভেতরে বা বাইরে যারা এভাবে সংখ্যালঘুদের হেনস্থা করছেন, তারা গত এপ্রিল/মের নির্বাচনে বিজেপির বিশাল বিজয়কে তাদের এই আচরণের প্রতি সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন। ৫৪৩ সদস্যের পার্লামেন্টে বিজেপি তিনশোর বেশি আসনে জিতেছে। নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদে ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অনেক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মুসলিমরা গরুর মাংস খাচ্ছে বা জবাই করার জন্য গরু চোরাচালানের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে তথাকথিত 'গোরক্ষকরা' তাদের ওপর অনেক হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এরকম হামলা সমর্থন করেননি, কিন্তু একই সঙ্গে তিনি এসব ঘটনার নিন্দাও করেননি। কোটি কোটি হিন্দুর কাছে দেবতা রাম হচ্ছেন ন্যায়পরায়ণতা আর দয়াশীলতার প্রতীক। এবারের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর অবশ্য মিস্টার মোদি তার আগের শ্লোগান 'সবকা সাথ, সবকা ভিকাস" এর সঙ্গে আরেকটি শ্লোগান যুক্ত করলেন, 'সবকা বিশ্বাস'। তখন এমন একটি আশাবাদ তৈরি হয়েছিল যে তার এবারের মেয়াদের সরকার হয়তো ভিন্ন কিছু হবে। কিন্তু বহু ভারতীয়ের মনেই সংশয়, সরকার আসলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কীনা। অন্যান্য খবর: সৌদি রাজকন্যার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করলো প্যারিস 'সবক্ষেত্রেই মূল সমস্যা অস্বীকার করে সরকার' সৌদি আরবে র‍্যাপার নিকি মিনাজের কনসার্ট বাতিল ২০১৪ সালের পর থেকে জনতার হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন, আরও কয়েকশ আহত হয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি মামলাতেই আসলে কারও সাজা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ কোন প্রমাণ নাকি পাওয়া যায়নি। নরেন্দ্র মোদির দলের লোকজন তাদের উল্টো সমাদর করছে। বিজেপির নেতারা অবশ্য এসব ঘটনাকে অতটা গুরুত্ব দিতে চান না। তারা মনে করেন এসব 'ছোটখাট' ঘটনাকে ব্যবহার করে সাংবাদিকরা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায়। একজন বিজেপি এমপি সম্প্রতি এক নিউজ ওয়েবসাইটকে বলেছেন, 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান যে এত জনপ্রিয় হয়েছে, তার কারণ হিন্দুরা আসলে এর মাধ্যমে ভারতে সংখ্যালঘুদের পক্ষে যে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। "ওরা আসলে বলতে চায় আমরা হিন্দু এবং আমরা হিন্দু হিসেবেই গণ্য হতে চাই", বলছেন এই এমপি। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই কাজটা অন্যভাবে এবং ভালো উপায়েও করা যায়।
'জয় শ্রীরাম': হিন্দু দেবতার জয়ধ্বনি যেভাবে পরিণত হলো মুসলিম হত্যার হুংকারে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইনিংস ও ১২ রানে ওয়েলিংটন টেস্টে হেরে যায় বাংলাদেশ পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৭ উইকেট নিয়ে পুরো দিন টিকে থাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। পঞ্চম দিন ৩ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১১২ রানের মাথায় সৌম্য সরকার চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর মিথুন ব্যক্তিগত ৪৭ রানের মাথায় আউট হন। লিটন দাস মাত্র এক রান করে আউট হয়ে যান। একমাত্র বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তিনি তোলেন ৬৭ রান। সব মিলিয়ে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে যে রান তোলে, তা নিউজিল্যান্ডের এক ইনিংসের রান থেকে ১২ রান কম। আরো পড়ুন: ইমরুল কায়েসের আক্ষেপ ও নিবার্চকদের ব্যাখ্যা নিউজিল্যান্ড সফর কি বাংলাদেশের জন্য আসল পরীক্ষা? বাংলাদেশের ভিআইপিরা বিদেশে চিকিৎসা নেন কেন? কী কারণে এমন হার? বাংলাদেশ এই সিরিজ জুড়েই নিউজিল্যান্ডের শর্ট পিচ বোলিং এর সাথে পেরে ওঠেনি। এমন যেসব কারণে বাংলাদেশ লড়াই করতে পারছেনা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১. মুমিনুল ও লিটন দাসের ব্যাটিং ব্যর্থতা ওয়ানডে সিরিজ থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। তিনটি ওয়ানডেতে প্রতি ম্যাচে এক রান করে আউট হন লিটন দাস। দুই টেস্টে মোট ৬৪ রান তোলেন লিটন দাস। মুমিনুল হক নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২ টেস্টে তোলেন ৪৫ রান একই ভাবে ব্যর্থ ছিলেন মুমিনুল হক। ৩৫ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৮টি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হকের উপমহাদেশের বাইরে কোনো সেঞ্চুরি নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট মিলিয়ে ৪৫ রান তোলেন মুমিনুল। ২. ক্যাচ ফেলা রস টেইলর যখন ব্যক্তিগত ২০ রানে ছিলেন তখন তার ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০ রানে থাকা অবস্থাতেই ২ বল পরে আবারো তার ক্যাচ মিস করেন সাদমান ইসলাম। এরপর টেইলর ২১২ বলে ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২০০ রান তোলেন। রানের হিসেবে টেইলর ২০ রানে আউট হয়ে গেলে ম্যাচের গতিপথও বদলে যেতে পারতো সেখানে। ৩. নেইল ওয়েগনার জুজু নেইল ওয়েগনার প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন। এবার দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ধ্বস নামান এই পেস বোলার। চলতি সিরিজে ২ টেস্টে চার ইনিংসে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন নেইল ওয়েগনার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: যে সমীকরণে দাঁড়ালো এমন ফলাফল ডাকসু নির্বাচন: নূরকে ভিপি হিসেবে মেনে নিল ছাত্রলীগ 'সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ একটি পদও পাবে না' - নূর
নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ক্রিকেট: যে তিনটি কারণে আড়াই দিনের টেস্টেও হেরে গেলো বাংলাদেশ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
শামীমা বেগম ১৯ বছরের শামীমার এটি তৃতীয় সন্তান। তার আগের দুটি সন্তানই অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরো দুজন বান্ধবী সহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে লন্ডনের দৈনিক দি টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। তার বয়স এখন ১৯, এবং তিনি অন্ত:সত্বা ছিলেন। ঐ সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেন যে তার আগত শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাকে যেন ব্রিটেনে ফেরত আসতে দেওয়া হয়। সেই থেকে, ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা। যদিও বিবিসি এখনও দ্বিতীয় অন্য কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হতে পারেনি যে শামীমা বেগম সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কিনা বা তিনি সন্তানের জন্ম দয়েছেন কিনা। আজ (রোববার) মিজ বেগমের পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুঞ্জি জানান, তারা জানতে পেরেছেন শামীমা একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "এখনও শামীমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি।আশা করছি তাড়াতাড়ি তা করা সম্ভব হবে।" কিছুক্ষণ পরে ঐ আইনজীবী জানান, শিশুটি ছেলে। 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ ছাত্রী শামিমা দেশে ফিরতে চান জামায়াতকে কতটা নাড়া দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? সৌদি যুবরাজের জন্য অভাবী পাকিস্তানের লাল গালিচা ২০১৫ সালে আরো দুই বান্ধবীর সাথে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা (ডানে) শামীমার বাচ্চার নাগরিকত্বের কী হবে? শামীমা বেগমের জন্ম ব্রিটেনে, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। কিন্তু তারপরও তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে কিনা- তা নিয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। সরকারের একজন মন্ত্রী জেরেমি রাইট বিবিসিকে বলেন, শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব সোজা-সাপটা কোনো বিষয় নয়। "তাকে (শামীমাকে) তার কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। সে যদি এদেশে ফিরে আসতে পারেও, তাকে বুঝতে হবে সে যা করেছে তার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে।" ব্রিটেন থেকে যে কয়েকশ মুসলিম ছেলে-মেয়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল, তাদেরকে ফিরে আসতে দেওয়া উচিৎ কি উচিৎ নয়- তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা যাতে না ফিরতে পারে তার চেষ্টা করে যাবেন তিনি। তবে শামীমা বেগমের পরিবার আবেদন করেছে, শিশুটি তো নিরপরাধ, শিশুটির নিরাপত্তার জন্য মানবিক কারণে তাদের মেয়েকে ব্রিটেনে ফিরতে দেওয়া হোক। সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত সপ্তাহে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে শামীমা বেগম আইএসের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ এলাকাটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বামী আত্মসমর্পণ করেছে বলে তিনি জানান।
সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব, নাগরিকত্ব অনিশ্চিত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার মূল কার্যালয় অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার তাদের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার পর সেখানে তাদের পক্ষে আর কোনও ক্যাম্পেইন বা গবেষণা চালানো সম্ভব নয়। ভারতে মানবাধিকার তথা সিভিল লিবার্টিজ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, সে দেশে যখন সমাজের নিপীড়িত শ্রেণী ও সংখ্যালঘুরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কাশ্মীরের মতো দেশের নানা প্রান্তেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে - তখন এভাবে ভারতে অ্যামনেস্টির কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়াটা বিরাট এক আঘাত। বস্তুত ভারত-শাসিত কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতিই হোক বা কিংবা মুসলিমদের পিটিয়ে মারার ঘটনা - সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে সব সংগঠন সরকারের সমালোচনায় সবচেয়ে সরব, অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া ছিল তার প্রথম সারিতেই। তবে ভারতে অ্যামনেস্টির কার্যক্রমকে বারবার সরকারের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। ভারতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বহুদিন ধরেই তাদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ভারতের বিভিন্ন যেসব ঘটনায় অ্যামনেস্টি কথা বলেছে তা নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন: অ্যামেনেস্টি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির ছাত্র শাখার বিক্ষোভ ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করছেন, অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া বহুদিন ধরেই বিদেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করছে এবং তার মাধ্যমে 'ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট' বা এফসিআরএ লঙ্ঘন করে আসছে। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, অ্যামেনেস্টির ভারতীয় কার্যালয় 'প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে'র (এফডিআই) রুট ব্যবহার করে ব্রিটেন থেকে বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছে - যেটা তারা করতে পারে না। বস্তুত ২০১৮ সালেই ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) ভারতে অ্যামনেস্টির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে অ্যামনেস্টি সাময়িক অব্যাহতি পেলেও পরে তাদের বিরুদ্ধে ইডি আবার একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে তারা জানতে পারে যে তাদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই তারা লেনদেন করতে পারবে না, কারণ সরকারের পক্ষ থেকে ইডি তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর কর্মীদের মাইনে দেওয়া, চলমান ক্যাম্পেইন, গবেষণা বা ফিল্ড রিপোর্টগুলোর খরচ চালানো অ্যামনেস্টির পক্ষে একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে - যার ফলশ্রুতিতে এদেশে কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক অবিনাশ কুমার বলেছেন, "গত দুবছর ধরে আমাদের বিরুদ্ধে সরকার একনাগাড়ে যে ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে আর এই যে আমাদের অ্যাকাউন্টগুলো সব জব্দ করা হল, এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়।" "সরকার আমাদের লাগাতার যেভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এটা সেই পরিকল্পনারই অংশ", দাবি করেছেন তিনি। সাম্প্রতিককালে দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং কাশ্মীরের সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করার সঙ্গেও এই পদক্ষেপের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে অ্যামনেস্টি মনে করছে। কাশ্মীর নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার একটি সাংবাদিক সম্মেলন। ২০১৬ ভারতের বেশ কয়েকজন অগ্রণী মানবাধিকার কর্মী এই ঘটনায় অ্যামনেস্টির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। পিপলস ইউনাইটেড ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) নেত্রী কবিতা শ্রীবাস্তব বিবিসিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলছিলেন, "অবৈধভাবে বিদেশি অর্থ নেওয়ার অজুহাতকে ব্যবহার করে সরকার গত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থাকে হেনস্থা করছে।" "অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া তারই সবশেষ শিকার বলে আমি মনে করি।" "অ্যামনেস্টি ভারতে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হলে এ দেশে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরগুলো নিশ্চিতভাবেই আরও স্তব্ধ হয়ে পড়বে", মন্তব্য করছেন তিনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল: ভারতে সরকারের 'প্রতিশোধে' দেশটি থেকে পাট গোটাতে বাধ্য হল আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হয়নি খালেদা জিয়ার সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে বেরিয়ে এসে তিনি এমন অভিযোগ করেন। বেলা তিনটার দিকে মিসেস ইসলাম ও তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ভাই শামীম ইস্কান্দর, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক ইস্কান্দর মিসেস জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। পরে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "খালেদা জিয়ার শরীর খুবই খারাপ। তার পেটে ব্যথা এবং হাঁটাচলা ঠিক মতো করতে পারছেন না"। ডাক্তার ঠিকমতো ঔষধ দিচ্ছে না এবং ঠিকমতো খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছেনা অভিযোগ করে তিনি বলেন, "এখানে কীভাবে সে বাঁচবে? ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আসছে না। ডায়াবেটিসের সুগার ১২ এর নিচে কখনই আসেনি। ১৪ থেকে ১৫ পর্যন্ত সব সময় থাকে। আজ ১৫ আছে"। খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সেলিমা ইসলাম। এর আগে গত ১৩ই নভেম্বর পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। এর মধ্যে গত ১২ই ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছিলো, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও এ বিষয়ে তার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সম্মতি দিলে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কি-না জানতে চাইলে সেলিমা ইসলাম বলেন এ বিষয়ে মিসেস জিয়ার সাথে আজ তাদের কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি বলেন, "তারা খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেননা। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে জামিন দিতে পারতো। জামিন মানে তো মুক্তি না"। সেলিমা ইসলাম বলেন, জামিন না দেয়াকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জামিন হয়নি খালেদা জিয়ার, আবেদন খারিজ বন্দী খালেদা জিয়ার মাথায় যত মামলা ও দণ্ড জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: যা জানতে চান খালেদা জিয়ার মাথায় আরো যেসব মামলা ঝুলছে
খালেদা জিয়ার সাথে স্বজনদের সাক্ষাত: 'আদালতে দেয়া রিপোর্টের সাথে শারীরিক অবস্থার মিল নেই'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মিশরের কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গির্জায় বিস্ফোরণে ৪২ জন নিহত হয়েছে। হতাহতদের স্বজনরা গির্জাার সামনে জড়ো হয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় তানতা শহরে সেন্ট জর্জ'স কপটিক চার্চ টার্গেট করে প্রথম হামলাটি হয় এবং বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর কিছু সময়ের ব্যবধানে আলেকজান্দ্রিয়ায় বিস্ফোরণের খবর আসে। সেখানেও একটি গির্জার সামনে বিস্ফোরণ হয় এবং সেখানে কমপক্ষে ১৩ জন নিহন হয়েছেন যাদের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। দুটি বিস্ফোরনে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছন। ধর্মীয় পাম সানডে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বহু মানুষ ওই সময় গির্জা এলাকায় ছিলেন। তথাকথিত ইসলামিক স্টেট দাবি করেছে তারাই বিস্ফোরনের নেপথ্যে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিশরে প্রায়ই খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ইসলামী জঙ্গিদের হামলার ঘটনা ঘটছে। আলেকজান্দ্রিয়ায় আত্মঘাতী হামলাকারী গির্জায় ঢুকতে বাধা পেয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। আর তানতার প্রাদেশিক গভর্নর আহমেদ ডেইফ রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নাইল চ্যানেলে বলেছেন, "সেখানে আগে থেকে বোমা পেতে রাখা হতে পারে কিংবা আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটানো হয়ে থাকতে পারে"। আরও পড়ুন: ৪২ হাজার ফুট উঁচুতে যে শিশুর জন্ম 'মুফতি হান্নানের ভাবান্তর নাই' মেয়েদের জন্য কতটা নিরাপদ হলো বাংলা বর্ষবরণ উৎসব? প্রথম হামলার পর আশ-পাশের এলাকায় আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে এই আশঙ্কায় তল্লাশি চালানো শুরু হয়। ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছিল কায়রোর কপটিক ক্যাথেড্রাল। গত ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছিল কায়রোর কপটিক ক্যাথেড্রাল। সাম্প্রতিক বছরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ২০১৩ সাল থেকে যখন সামরিক বাহিনী নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে এবং ইসলামী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করে। আরও পড়ুন: দশম জাতীয় সংসদে আড়াই হাজারবার কটূক্তি
মিশরে দুটি গির্জায় বিস্ফোরণে নিহত ৪২, আইএস বাহিনীর দায় স্বীকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
উত্তরের জেলাগুলোতে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে রয়েছে লম্বা সময় ধরে। বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাঝে বন্যায় তারা চরম অসহায় পরিস্থিতিতে রয়েছেন। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এখন রাজধানীর ঢাকার নিচু এলাকাগুলোর দিকে বন্যা ধেয়ে আসছে এবং মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবনতি হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩১টি জেলায় করোনাভাইরাস এবং বন্যা-এই দু'টি দুর্যোগ একসাথে মোকাবেলা করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের কাজিয়ার চর এলাকার কৃষক সিরাজুল মণ্ডল এক মাসের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় বাস করছেন। বন্যায় তার বসতভিটা তলিয়ে গেছে। আমন ধানের বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার তিনি কোন আবাদও করতে পারবেন না। 'বাড়ি ঘর মনে করেন, পানিতে তলায়ে গেছে। এখন নৌকায় আছি। আর আমন বীজতলা সব নষ্ট হয়া গেছে। এবার ফসল কিছু হবে না।" বন্যায় অসহায় মানুষ। যমুনা এবং পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীর তীর এলাকার মাননুষের কাছে বড় আতংক হয়েছে ভাঙন। অনেকে চোখের সামনে তাদের ঘরবাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হতে দেখছেন। এমন একটি এলাকা সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদ ইউনিয়নের কাউন্সিলর রানী ঘোষ বলছিলেন, বন্যার কারণে ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ মুহুর্তেই সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন। "করোনার জন্যে লকডাউন গেলো, এখন আবার বন্যা। মানুষের কোন কাজ নাই। আমাদের এলাকায় সব ঘরে ঘরে তাঁত কারখানা। সব পানির নীচে। সরকারি সহায়তা কিছুটা আসছে। কিন্তু এত অসহায় মানুষের মাঝে সেই সাহায্য দিয়া কিছুই হয় না।" এখন বন্যার পানিতে ঢাকার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একটু উঁচু জায়গা পেলেই মানুষ সেখানে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি বানিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন। ফরিদপুর, শরিয়তপুরসহ মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় বন্যার কারণে এসব জেলাতেও নদী ভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শরিয়তপুর জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জাজিরা এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত একজন নারী তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। "বাড়িঘর সহ সব তলায় গেছে। বলার কোন ভাষা নাই। আপনাকে বুঝাতে পারবো না ভাই কতটা অসহায় অবস্থায় আছি। আমরা কোন সাহায্যও পাচ্ছি না।" বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে একট বড় জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে রয়েছেন এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মহসিন বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি সামলা দেয়ার চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করেই তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছেন। "অন্য বছরের থেকে এবার যে পার্থক্যটা, তা হচ্ছে, করোনাভাইরাস এবং তার মধ্যেই বন্যা। আমরা পুরোপুরি এটা বিবেচনায় এনেই বন্যা ব্যবস্থাপনা করেছি।" "যেমন, আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আমরা অনেক বাড়িয়েছি। এবার এপর্যন্ত ১৬০৩টি করা হয়েছে। যা আগের বছরে অনেক কম ছিল। কারণ যাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যায়।" তিনি আরও বলেছেন, "অন্য বছরের তুলনায় ত্রাণ বরাদ্দ অনেক বেশি দিয়েছি। আজকেও আমি বন্যা কবলিত জেলাগুলোর ত্রাণ কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। ত্রাণ বিতরণের মনিটরিং পদ্ধতিটাও এফেক্টিভ করা হয়েছে।" গবাদিপশু নিয়েও বিপদে রয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। এবার পর তিন দফায় বন্যা আঘাত হেনেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দল এবং এনজিওগুলোর মাঠে এখনও তেমন ত্রাণ তৎপরতা নেই বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছেন, আগাষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের পর বন্যার পানি কমতে শুরু করতে পারে। "১৯৯৮ সালে বন্যা দুই মাসের বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এবার এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্যা চলছে। এই বন্যা স্থায়িত্বের দিক থেকে ৯৮ এর পর দ্বিতীয়।" সরকারি হিসাবে ৩১টি এই বন্যায় এপর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জাতীয় পার্টির প্রধান জেনারেল এরশাদ। দীর্ঘদিন পর শনিবার মধ্যরাতে জেনারেল এরশাদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতে মি: কাদের দলের চেয়ারম্যান বা তার উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অনেকে বলেছেন, নেতৃত্ব নির্ধারণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের নেতা বার বার সিদ্ধান্ত বদল করায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন। বার বার কেন সিদ্ধান্ত বদল? জেনারেল এরশাদ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে গত পহেলা জানুয়ারি তার ভাই জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি নিজের উত্তরসূরি হিসেবেও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর গত ২১শে মার্চ আকস্মিকভাবেই তিনি মি. কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন। এমনকি তখন মি: কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকেও সরিয়ে জেনারেল এরশাদ তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে সেই পদে বসিয়েছিলেন। এর কয়েকদিন পরই ৪ঠা এপ্রিল তিনি মি: কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান পদে ফিরিয়ে আনেন। শনিবার মধ্যরাতে জেনারেল এরশাদ আকস্মিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে মি: কাদেরকে দলের দায়িত্ব দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। জি এম কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারে যোগদানের ব্যাপারেও জেনারেল এরশাদ একেক সময় একেক কথা বলেছেন। তবে দলটির সিনিয়র নেতাদের অনেকে বলেছেন, দলের ভেতরে বিরোধের কারণে সিদ্ধান্ত বার বার বদল হচ্ছে। তারা বলছেন, জেনারেল এরশাদের একক সিদ্ধান্তেই এসব হচ্ছে। মধ্যরাতে কেন ঘোষণা? জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এই প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি বলেছেন, "কেন এটা অত রাতে করা হলো এটা আমার বোধগম্য নয়। এরশাদ সাহেবের অনুপস্থিতিতে উনি দায়িত্ব পালন করবেন, এটা তো আগেই ছিল। এখন যেহেতু এরশাদ সাহেব অফিসে যেতে পারেন না এবং সিগনেচার ঠিকমত করতে পারেন না বা আগের সিগনেচারের সাথে মিলে না, সে কারণে হয়তো এই দায়িত্বগুলো তিনি পালন করবেন।" জাতীয় পার্টিতে বিরোধ রওশন এরশাদ এবং জি এম কাদেরের মধ্যে বিরোধের কারণে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের মাঝেও বিভক্তি আছে বলে দলটির নেতাদের অনেকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মি: কাদেরকে এখন আবার দলের দায়িত্ব দেয়ায় সেই বিরোধ নতুন করে সামনে এসেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর জি এম কাদের সংবাদ সম্মেলন করলে সেখানে দলটির সিনিয়র নেতাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে মি: কাদের বলেছেন, তাদের দলে বিভক্তি নেই, কিন্তু মতপার্থক্য থাকতে পারে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ভিন্নমতের কেউ দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলে দল ছেড়ে চলে যেতে পারেন। "আমার মনে হয়, বিভক্তি বলে যেটা বলা হচ্ছে, তেমন কিছু নেই। মতভেদ প্রত্যেক দলেই থাকে। যারা একমত হতে পারবেন না, তারা হয়তো আলাদা হবেন।" এমন মন্তব্য করার পর মি: কাদের আবার কিছুটা সতর্ক অবস্থান নিয়ে বলেছেন, "কেউ আলাদা হবেন, সেটা আশঙ্কা করছি না। যদি হন, তাহলে জাতীয় পার্টির কোনো ক্ষতি হবে না, এর আগেও দল ছেড়ে অনেকে গেছে জাতীয় পার্টির ক্ষতি হয়নি।" বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্কট বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে জেনারেল এরশাদ বার বার সিদ্ধান্ত বদল করায় জাতীয় পার্টি বিভিন্ন সময় বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটে পড়েছে বলে দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন। জাতীয় পার্টির এমপি অধ্যাপক মাসুদা রশিদ চৌধুরী বলেছেন, দলের নেতৃত্বের ব্যাপারে বার বার সিদ্ধান্ত বদল করায় দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। জেনারেল এরশাদের ভাই জি এম কাদের। "আমরা সত্যি লজ্জিত এবং খারাপ লাগে যে, মানুষ এই নিয়ে কথা বলে। যেহেতু স্যার করছেন সেজন্য আমরা কোনো কমেন্ট করছি না। কারণ তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন, ততদিন তিনি পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন। সেজন্য আমরা তাকে এবং তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।" এরশাদ কি অবসরে যাচ্ছেন? দীর্ঘ সময় পর জেনারেল এরশাদ যখন গত শনিবার মধ্যরাতে হুইল চেয়ারে করে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে আসেন, তখন তাকে গুরুতর অসুস্থ দেখা গেছে। তিনি কথাই বলতে পারছিলেন না। ফলে তিনি অবসরে যাচ্ছেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। জি এম কাদের বলছিলেন, "পরিণত বয়স বলতে যা বুঝায় তিনি সেরকম ৯০ বছর পার করেছেন। আর এখন উনার শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। বেশ খারাপ। তবে উনি যতদিন বেঁচে আছেন, উনিই চেয়ারম্যান, উনি যেটা বলবেন তার বাইরে কিছু হবে না।" দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী মনে করেন, পারিবারিক বিরোধ এখন দলেও এসে পড়েছে। "বেগম রওশন এরশাদের পক্ষে কিছু লোক আছে। আবার জেনারেল এরশাদের পক্ষে যারা, তারা জিএম কাদেরকে উত্তরসূরি হিসেবে দেখতে চায়। সুতরাং পারিবারিক দ্বন্দ্ব পার্টি পর্যন্ত গড়িয়েছে।" "এরশাদের অনুপস্থিতিতে এই পার্টি ভেঙ্গে যাবে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দলের ভবিষ্যৎ আমি দেখি না।" তবে জাতীয় পার্টির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, তাদের দলে বিরোধ চরম একটা অবস্থায় যেতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে দল ভাঙ্গার দায় কেউ নিতে চাইবেন না বলে তারা মনে করেন।
মধ্যরাতে জেনারেল এরশাদের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
জুম্মার নামাজে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং তুর্কী মন্ত্রিসভার ক'জন সদস্য। এর আগে গত ১০ই জুলাই এক তুর্কী আদালত সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়নি বলে রায় দেয় এবং এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার একে মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে আদেশ জারি করে। দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থোডক্স গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। বিশ্বের নানা দেশ থেকে এই ভবনটিকে মসজিদে রূপান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজের আগে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বহু মুসল্লি মসজিদের বাইরে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। আরো পড়তে পারেন: ৮৬ বছর পর ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়ায় শোনা গেল আজান ধ্বনি তুরস্কের হাইয়া সোফিয়ায় নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্কের কারণ কী? তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী বলছেন, হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরে এক হাজার মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারবেন। কিন্তু এর আগেই হাজার হাজার মানুষ মসজিদটির আশেপাশে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বসে পড়েন। প্রথম দিনের জামাতে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সাথে সামিল হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান। তুর্কী ধর্মমন্ত্রী আলী এরবাস জানিয়েছেন, নতুন মসজিদের জন্য তিন জন ইমামকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেহমেত বয়নুকালিন ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী আইন বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী এরলিকায়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলার স্বার্থে জুম্মার নামাজের মুসল্লিদের 'ফেসমাস্ক, জায়নামাজ, ধৈর্য এবং সহানুভূতি' নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করার পরামর্শ দেন। সাহায্যের জন্য মসজিদ ও তার আশেপাশে স্বাস্থ্য কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলে তিনি জানান। প্রথম জুম্মাকে কেন্দ্র করে হাইয়া সোফিয়া মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাইয়া সোফিয়ায় প্রথম জুম্মার দিনের ভিডিও (সৌজন্যে বিবিসি তুর্কী বিভাগ): হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাস: হাইয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন। হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরের দৃশ্য।
হাইয়া সোফিয়া মসজিদে ৮৬ বছর পর জুম্মার নামাজ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বিমানে যাত্রীরা কী এখন পাশাপাশি বসতে পারবেন? সেটা এখন বড় প্রশ্ন লকডাউন উঠলেও যে বিমানে ভ্রমণের ওপর নানা ধরণের বিধিনিষেধ-শর্ত বসানো হবে, তাও বলাই বাহুল্য। ব্রিটেনের সরকার ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করেছে, মে মাসের শেষদিক থেকে বিদেশ থেকে যে কেউই বিমানে করে এদেশে এলে তাকে ১৫ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, ব্রিটেন-ভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলোর সমিতি এয়ারলাইন্স ইউকে বলেছে, এটা হলে যাত্রী বিমানের ব্যবসা লাটে উঠবে। তাদের কথা, ১৫দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে ব্রিটেনের দিকে কেউই পা মাড়াবে না। লন্ডনের হিথরো সহ ইউরোপের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ইতিমধ্যেই নানাধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে।বিমান যাত্রী এবং স্টাফদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। ফেসমাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এয়ার ফ্রান্স সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে তাদের ফ্লাইট শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ফেসমাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করতে বাধ্যমূলক করা হচ্ছে। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার এবং স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা বিমানবন্দরের কর্মচারীদের জন্য ফেসমাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করছেন। যাত্রীদেরও ফেসমাস্ক এবং গ্লাভস পরতে বলা হবে। মার্চের শেষ থেকে ইজি জেটের বিমান উড়ছে না। তারা বলছে, সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দুই যাত্রীর মাঝে একটি সিট খালি রাখতে তারা প্রস্তুত কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, বিমানের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে? এ নিয়ে এভিয়েশন খাতে বড় ধরনের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছে।কিছু কিছু এয়ারলাইন্স - যেমন, এমিরেটস, ইউরোপের ইজি জেট বা আমেরিকার ডেল্টা এয়ারলাইন্স - বলছে তারা কিছুদিনের জন্য দুজন যাত্রীর মাঝে একটি সিটি খালি রাখতে প্রস্তুত। আয়ারল্যান্ডের বিমান সংস্থা এয়ার লিঙ্গাসও একই ইঙ্গিত দিয়েছে। তারাই বলছে, সরকারগুলোরও উচিৎ কিছুদিনের জন্য এই ব্যবস্থা যেন বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু সব এয়ারলাইন্স সেটা মানতে রাজী নয়। যেমন ইউরোপে স্বল্প ভাড়ার যাত্রী বিমান খাতের অন্যতম জায়ান্ট রায়ান এয়ার জানিয়ে দিয়েছে সিট খালি রাখার শর্ত চাপানো হলে তারা বিমান চালাবেই না। রায়ান এয়ারের প্রধান নির্বাহি মাইকেল ও লিয়েরি বলেছেন, এ ধরনের শর্ত হবে ‘ইডিওটিক‘ অর্থাৎ চরম বোকামি। তার যুক্তি - মাঝের সিট খালি রাখলেই তাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হবেনা, বরঞ্চ তাতে যাত্রী বিমান ব্যবসা অচল হয়ে পড়বে। রায়ান এয়ারের প্রধান নির্বাহি মাইকেল ও লিয়েরি বলেছেন, সিট খালি রাখার শর্ত চাপানো হলে তারা বিমান চালাবেনই না কিন্তু ইজি জেটের প্রধান নির্বাহি ইয়োহান লান্ডগ্রেন বলছেন যাত্রীদের ভেতর ভরসা তৈরি করতে মাঝের একটি সিট খালি রাখা এখন সঙ্গত হবে। তিনি মনে করেন, এমনিতেই অদূর ভবিষ্যতে ভয়েই মানুষজন বিমান ভ্রমণ করতে চাইবে না, যাত্রীর চাপ থাকবে কম। ফলে, মাঝের সিট খালি রাখা কোনো সমস্যা হবেনা। এক সিট অন্তর অন্তর যাত্রী বসানো নিয়ে সরকারগুলোর পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে কিছু শোনা যায়নি। করোনাভাইরাস সামাল দিতে মার্চ থেকে একের পর এক দেশ লকডাউন জারি করা শুরু করার পর অর্থনীতির যেসব খাত সবচেয়ে বেশি হুমকিতে পড়েছে তার অন্যতম এভিয়েশন বা বিমান চলাচল। জাতিসংঘের বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক সংস্থা আইসিএও বলছে, এ বছরের প্রথম নয় মাসে বিমান যাত্রীর সংখ্যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১২০ কোটি বা দুই-তৃতীয়াংশ কম হবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনাভাইরাস: মাঝ আকাশে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে নিশ্চিত হবে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
হাজার হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়েকন্দ্রে অবস্থান করছেন। ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে প্রায় দুইশোর মতো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। অনেক কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে এবং অনেক গাছও উপড়ে পড়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী কক্সবাজারে প্রায় ২০ হাজার ঘরবাড়ি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারে দুজন নারীসহ তিনজনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। কক্সবাজারে বিদ্যুৎব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্যান্য জেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে মহেশখালির স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব রোকন জানিয়েছেন, সকাল নাগাদ আবারো প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। সেখানে প্রচুর গাছপালাও উপড়ে গেছে। মহেশখালি ও মাতারবাড়িতে বেশিরভাগ বাড়িঘরই কাঁচাবাড়ি এবং এই ঝড়ে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মহেশখালির মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানাচ্ছেন ওই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক গাছপালাও ভেঙে পড়েছে। মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমুদুল্লাহ জানান, তাঁর এলাকায় অন্তত সাত হাজার পরিবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দু'হাজারের মতো ঘরবাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে আর পাঁচ হাজারের মতো ঘরবাড়ি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ফসলিজমি যা ছিল সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এমনকি জমাকৃত যে লবন ছিল চাষীদের সেগুলোও সব নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানালেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। রশিদ নামের এক চাষী যেমন বলছিলেন "চাষবাস করে, কৃষিকাজ করে জীবিকা করতাম। এখনতো একেবারে আমরা নি:স্ব হয়ে গেলাম। ঘরবাড়ি সব গেল। চাষের যা জমা ছিল সব গেল"। "জীবন বাঁচাইতে পোলাপান নিয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আছি"। সবুপারা নামের এক নারীর কন্ঠেও শোনা যায় আহাজারি। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের কোনোকিছুই অবশিষ্ট নাই তার। স্বামী সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাঁর মতো আরো অনেক নারী। আরো পড়ুন: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোরা ‘নোংরা যুদ্ধে’র শর্ত মেনেই কাশ্মীরে লড়বে ভারত
‘আমরাতো নি:স্ব হয়ে গেলাম একেবারে, ঘরবাড়ি সব গেল’
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মোরগ মরিস এখন গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে বিরক্ত প্রতিবেশীদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেছে মরিস যখন খুশি গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে। ফ্রান্সে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী ওলেরন দ্বীপে নিয়মিত ছুটি কাটাতে যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক দম্পতি আদালতে ঐ মোরগের ডাক থামাতে মামলা করেছিলেন। তারা সফল তো হনইনি, উল্টে আদালত তাদের ক্ষতিপূরণ ও মামলা বাবদ এক হাজার ডলারের বেশি খরচ দেবার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলা ফ্রান্সে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যারা নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন এবং শহুরে ব্যস্ততা থেকে কিছুটা শান্তির খোঁজে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে চান, তাদের সঙ্গে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখার পক্ষে যারা তাদের মধ্যে কয়েক দশকের একটা বিরোধকে সামনে এনেছে 'মরিস মোরগের' এই মামলা। মোরগের মালিক করিন ফেস্যোঁ বলেছেন মরিসের ডাক নিয়ে কেউই কখনও অভিযোগ করেননি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জাপানে এক 'মোরগ'কে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় তিন হাজার মুরগীর আক্রমণে মারা গেল শিয়াল মোরগ মরিসের নিশ্চিন্তে ডাকার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন বহু মানুষ তিনি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন পশ্চিম ফ্রান্সে রশফোর্টের আদালতের আজকের রায়ে "মরিসের বিজয় গোটা ফ্রান্সের গ্রামীণ সংস্কৃতির বিজয়"। ফ্রান্সে গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ গ্রামে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য শহরের মানুষ গ্রামে একটা বাড়ি কিনছেন, কিন্তু গ্রামে থাকার বাস্তবতা অর্থাৎ সেখানে পশুপাখি ডাকবে, পোকামাকড় ঘুরে বেড়াবে- এগুলো তারা মানতে রাজি নন। অবসরপ্রাপ্ত ঐ দম্পতির দ্বিতীয় বাড়ি করিনদের গ্রামে। তারা থাকেন করিনদের পাশের বাড়িতে। করিন বলেছেন শহরের মানুষকে বুঝতে হবে শহরের যেমন নিজস্ব কিছু শব্দ আছে, তেমনি গ্রামেরও নিজস্ব কিছু শব্দ আছে। "আমাদের এভাবে কোণঠাসা করা যাবে না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে মেনে নিতে হবে। গ্রামের প্রকৃতিতে এগুলো স্বাভাবিক শব্দ। এধরনের শব্দ আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও আমার পেছনে রয়েছেন।" মরিসের ভোরবেলা ডাকার অধিকারকে সমর্থন করে ১ লাখ চল্লিশ হাজার মানুষ এক পিটিশানে সই করেছেন। এর আগেও গরুর ডাক বা গরুর গলার ঘন্টার আওয়াজ বন্ধ করতে ফ্রান্সের আদালতে একইধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু মরিস নামে এই মোরগের ডাক বন্ধ করার মামলা নিয়ে যে পরিমাণ আবেগ দেখা গেছে তা আগে দেখা যায়নি। এমনকী সুদূর আমেরিকা থেকে মরিসের সমর্থনে মানুষ চিঠি লিখেছে, পিটিশানে সই করেছে। এমনকী স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মরিসের সমর্থনে টি-শার্টও বিক্রি করেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: দেশে দেশে বিধবাদের জন্য যত অমর্যাদাকর রীতি দ. কোরিয়ার অনেক নারী যে কারণে ব্রা পরতে অনাগ্রহী ব্রিটেনের ওলট-পালট রাজনীতি নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন
ফ্রান্সে মরিস নামে মোরগের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আদালতে নাকচ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সোমবার বাংলাদেশে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী মিলিয়ে ৪৭ সদস্য আজ শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর বেতন ভাতা কেমন? এর বাইরে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পান? প্রধানমন্ত্রীর বেতন ভাতা: দ্য প্রাইম মিনিস্টার'স (রেমুনারেশেন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন মাসে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া তিনি মাসিক বাড়ি ভাড়া পান এক লাখ টাকা, দৈনিক ভাতা পান তিন হাজার টাকা। মন্ত্রীর বেতন ভাতা দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, একজন মন্ত্রী বেতন পান মাসিক এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা এবং চিফ হুইপরাও সমান বেতন পান। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হলে কী সুবিধা পাওয়া যায়? ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা, আজ শপথ আমু, তোফায়েল, মেনন, ইনুসহ বাদ পড়লেন যারা নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেননা: (উপরে বাম থেকে) তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরি, আমির হোসেন আমু, (নিচে বাম থেকে) নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেনন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী কাউকেই তাদের বেতনের জন্য কোন কর দিতে হয় না। এছাড়া একজন মন্ত্রী আরো যেসব সুবিধা পান: বাসস্থান থেকে অফিস বা অফিস থেকে বাসস্থানে যাতায়াতের খরচ পাবেন। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ খরচও তিনি পাবেন। এছাড়া অন্তত দুইজন গৃহকর্মীর ভ্রমণের খরচ পাবেন। উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব। জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডের দুইজন কর্মকর্তা। আরো পাবেন একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়ন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্তের পদ্ধতি আবিষ্কার শুরুতেই কেন বিতর্কে পড়লো এবারের বিপিএল খুদে বার্তায় বিচ্ছেদের খবর জানবেন সৌদি নারীরা কেন জানুয়ারির প্রথম সোমবার পরিণত হয় বিচ্ছেদের দিনে? বাংলাদেশে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রীর বেতন ভাতা প্রতিমন্ত্রীদের বেতন প্রতি মাসে ৯২ হাজার টাকা। এই আয়ের ওপর কোন কর নেই। এছাড়া তিনি আরো পাবেন: উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব। জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডের দুইজন কর্মকর্তা। আরো পাবেন একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়ন। উপমন্ত্রীর বেতন ভাতা একজন উপমন্ত্রী বেতন পান ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। তাকেও বেতন ভাতার জন্য কোন কর দিতে হবে না। সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব। এছাড়া একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, একজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়ন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যারা সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে, তারা আরো কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। সেগুলো জানতে পড়ুন: বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হলে কী সুবিধা পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে মন্ত্রী হলে কী সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
নিহিলানন্দের ফেসবুক পাতায় তার ছবি এবং নানা প্রশ্ন মামলাকারী ব্যক্তির নাম রাফায়েল স্যামুয়েল। তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এবং একজন ব্যবসায়ী। তিনি বিবিসিকে বলেন, এভাবে পৃথিবীতে সন্তান নিয়ে আসা অন্যায়, কারণ তাদেরকে সারা জীবন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি বোঝেন যে সন্তানের জন্ম হবার আগে তাদের সম্মতি নেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তার পরও তিনি জোর দিয়ে বলেন - "আমার জন্মগ্রহণের সিদ্ধান্ত তো আমি নেই নি।" "যেহেতু আমি কাউকে বলি নি যে আমার জন্ম দাও - তাই আমাদের জীবনযাপন করার জন্য সারা জীবন ধরে খরচ যুগিয়ে যাওয়া উচিত", বলেন তিনি। মি. স্যামুয়েল যা বলছেন, তার মূল নিহিত রয়েছে এক দার্শনিক তত্ত্বে - যাকে বলে এ্যান্টি-ন্যাটালিজম। এর মূল কথা হলো, মানুষের জীবন যেহেতু দু:খ-দুর্দশায় ভরা, তাই মানবজাতির উচিত সন্তান জন্মদান বা বংশবৃদ্ধি একেবারেই বন্ধ করে দেয়া। রাফায়েল স্যামুয়েল বলছেন, এর ফলে পৃথিবী থেকে পর্যায়ক্রমে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এবং তা এই গ্রহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা ব্যাপার হবে। তার কথা, "মানবজাতির কোন দরকারই নেই। কারণ এত মানুষ দু:খকষ্টের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেই বরং এই পৃথিবী এবং অন্যান্য প্রাণীরা সুখে জীবন কাটাতে পারবে। মানুষের দুর্ভোগেরও এতে অবসান হবে।" এক বছর আগে মি. স্যামুয়েল একটি ফেসবুক পাতা শুরু করেন। পেজটির নাম 'নিহিলানন্দ' (Nihilanand). এই পেজে মি. স্যামুয়েলের একটি ছবি আছে - যাতে তার মুখে নকল দাড়ি লাগানো, চোখও ঢেকে রাখা আছে একটা ঢাকনা দিয়ে। নিহিলানন্দ মনে করেন পৃথিবীতে মানুষের কোন প্রয়োজন নেই সাথে আছে 'এ্যান্টি-ন্যাটালিস্ট' বার্তা: "জোর করে একটি শিশুকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার অর্থ কি এই নয় যে তাকে অপহরণ, দাসবৃত্তি এবং একটা কেরিয়ারের আবর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হলো?" "আপনার পিতামাতা আপনাকে এনেছেন একটি খেলনা বা কুকুরের পরিবর্তে। তাদের কাছে আপনি কোনভাবেই ঋণী নন। আপনি বরং তাদের বিনোদন।" মি. স্যামুয়েল বলছেন, তার মনে পড়ে যে মাত্র পাঁচ বছর বয়েস থেকেই তার মনে এসব ভাবনা আসতে শুরু করেছিল। "আমি একটি স্বাভাবিক শিশুই ছিলাম। একদিন আমার মন ভালো ছিল না, আমি স্কুলে যেতে চাইনি। কিন্তু আমার বাবা-মা আমাকে স্কুলে যাবার জন্য জোর করতে লাগলেন। তখন আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমাকে জন্ম দিলে কেন? আমার বাবা কোন জবাব দিতে পারলেন না।" "আমার মনে হয় তিনি যদি উত্তর দিতে পারতেন - তাহলে আমি এভাবে ভাবতে শুরু করতাম না।" সেই থেকে মি. স্যামুয়েলের মাথায় এই চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগলো, এবং তা একটা দর্শনের রূপ নিল। তখন তিনি তার বাবা-মাকে এটা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন। রাফায়েল স্যামুয়েল, মুখে নকল দাড়ি মি. স্যামুয়েলের বাবা-মা দু'জনেই আইনজীবী। তিনি বলছেন, তার বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক তার খুবই ভালো। তার কথায়, তার মা ছেলের এই ভাবনার প্রতি 'খুব ভালোভাবেই সাড়া দিয়েছেন' এবং বাবা-ও এখন এটা নিয়ে 'আগ্রহ দেখাতে' শুরু করেছেন। "মা বলেছেন, যদি কোনভাবে জন্মের আগে তার ছেলের সাথে তার দেখা হতো - তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতেন না।" মি. স্যামুয়েল বলছেন, তার মা এখন ছেলের ভাবনার যুক্তিটা উপলব্ধি করতে পারছেন। "মা আমাকে বলেছেন, তিনি যখন আমার মা হন তখন তার বয়েস ছিল কম, এবং এর যে কোন বিকল্প থাকতে পারে - তাও তার জানা ছিল না। কিন্তু আমার যুক্তিটা ঠিক সেখানেই। আমি বলতে চাই, প্রত্যেকেরই সে বিকল্প আছে।" মি. স্যামুয়েলের মা এ ব্যাপারে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, তার ছেলে যে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে সক্ষম একজন যুবক হয়ে উঠেছে - তাতে তিনি গর্বিত। নিহিলানন্দের ফেসবুক পাতায় বার্তা মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি যে তার বাবা-মাকে আদালতে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন - তার কারণ হলো তার এই বিশ্বাস, যে মানুষ না থাকলে এই পৃথিবী অনেক সুন্দর একটি জায়গা হতো। ছ'মাস আগে এই মামলা করার সিদ্ধান্তের কথা মি. স্যামুয়েল তার মা-কে জানান, ব্রেকফাস্টের টেবিলে বসে। তার মা তখন বলেছিলেন, ঠিক আছে, মামলা করো, কিন্তু এটা সহজ হবে বলে মনে করো না। আদালতে তোমাকে আমি ধসিয়ে দেবো। মি. স্যামুয়েল এখন একজন আইনজীবী খুঁজছেন - তবে এখনো পান নি। "আমি জানি, বিচারক এ মামলা খারিজ করে দেবেন কারণ এরকম মামলা কেউই শুনতে চাইবেন না। কিন্তু আমি আমার পয়েন্ট তুলে ধরার জন্যই মামলাটি করতে চাই।'' ফেসবুকে তার নানা পোস্টও বেশ সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুরকমই আছে। তবে বেশির ভাগই নেতিবাচক, অনেকে ক্ষিপ্ত হন, গালাগালি করেন। তিনি বলেন, অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন যে আপনি আত্মহত্যা করুন। অনেক মা এতে উদ্বিগ্ন হয়েছেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা এসব পোস্ট দেখলে কি ঘটতে পারে। "অবশ্য অনেকেই আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন তবে তাদের কথা আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই না।" মি. স্যামুয়েল বলেন, তিনি প্রচার পাবার জন্য এটা করছেন না। "আমি শুধু মানুষকে আমার ভাবনার কথাটা জানাতে চাই। এটা খুবই সহজ বার্তা তা হলো : সন্তান জন্ম দিতে না চাওয়াটায় কোন অন্যায় নেই।" তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি জন্ম নেয়ার জন্য দু:খিত কিনা। "আমি ভাবি আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো। এর অর্থ এই নয় যে আমি জীবনে অসুখী। আমার জীবন সুন্দর, কিন্তু এ জীবন না থাকলেই বরং ভালো হতো।" "ব্যাপারটা এরকম যে এখানে একটা সুন্দর ঘর আছে, কিন্তু আমি সেই ঘরে থাকতে চাই না।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: শেষ ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা 'সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং অবৈধ' 'অনেক কবি-লেখক বলেছেন, বইটি প্রকাশ করো না'
'অনুমতি না নিয়ে কেন আমাকে জন্ম দিলে?' বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ভারতীয় ছেলে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ফাইল ছবি এদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, আটজন নারী এবং তিনজন শিশু। লঞ্চের বাকি নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো উদ্ধারাভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন, দমকল বাহিনীর কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা লিমা খানম। এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়া ময়ূর-২ লঞ্চটিকে জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গিয়েছে। পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের একটি দল এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। দমকল বাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে 'মর্নিং বার্ড' নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ছেড়ে আসে। এরপর সদরঘাটে এসে ঘাটে পৌছানোর কয়েক মূহুর্ত আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ নামে একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় এই দুঘর্টনা ঘটে। ঘটনাস্থলের কাছের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, 'মর্নিং বার্ড' নামে আকারে ছোট লঞ্চটিকে পেছন থেকে বড় সাদা একটি লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে সামনে ঠেলে নিচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছোট লঞ্চটি পুরোপুরি উল্টে বড় লঞ্চটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। বড় লঞ্চটির নাম ময়ূর-২। ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করে। মূলত সদরঘাট, সোয়ারীঘাট এবং মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসাবাণিজ্য করেন, এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে সকালে ঢাকায় এসে বিকেল-সন্ধ্যায় ফিরে যান এমন মানুষেরা নিয়মিত এই রুটে যাতায়াত করেন। এদিকে, দুঘর্টনার পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে অভিযোগ করে বলেছেন, নৌযান শ্রমিকেরা নিয়ম-কানুন না মেনেই পরিবহন চালান, এবং এর ফলে নানা ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, সিসিটিভি ‍ফুটেজের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একে দুর্ঘটনা নয়, বরং 'হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়।" তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তদন্তে যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মি. চৌধুরী। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এছাড়া মৃত যাত্রীদের প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেকের দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মি. চৌধুরী।
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার, ধাক্কা দেয়া লঞ্চ 'জব্দ'
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
জাতীয় পার্টির লোগো তবে ভবিষ্যতে অবস্থা বুঝে 'দেশের স্বার্থে' কোন প্রয়োজন হলে তখন বিকল্প দেখা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন দলটির নেতারা। বুধবার ঢাকায় দলটির প্রেসিডিয়াম কমিটি ও নির্বাচিতদের একটি বৈঠক শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের। মি. কাদের বলেন, ''নির্বাচনে মহাজোট গঠন করেই আমরা নির্বাচন করেছি, শরীকদের নির্বাচনী ইস্তেহার আমাদের অঙ্গীকার, সবকিছু মিলেমিশে জনগণের সামনে হাজির হয়েছিলাম।" "তাই এককভাবে আমরা জোটের সঙ্গে আছি, একভাবেই থাকতে চাই।'' আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোট থেকে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, যদিও তাদের নির্বাচনী প্রতীক ছিল ভিন্ন। আরো পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের এতো কম আসন আশা করেনি জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচন: জাতীয় পার্টির ভোট কমার কারণগুলো জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের জাতীয় পার্টি যদিও এর আগের সংসদে আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল, একই সঙ্গে তাদের দল থেকে কয়েকজনকে মন্ত্রীও করা হয়েছিল। সেই সংসদে তাদের মোট আসন ছিল ৩৪টি। দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, "চেয়ারম্যান (এরশাদ) ক্ষমতা দিয়েছেন যে, বিষয়টি যেহেতু পার্লামেন্টের বিষয়, তাই যারা পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।" এবার নির্বাচনে ২০টি আসনে জয় লাভ করে পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছে দলটি। এবারো কি তারা মন্ত্রীপরিষদের অংশ হবেন? জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের বলছেন, ''পার্লামেন্টে যখন আমরা বসবো, তখন এসব বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। মহাজোটের সঙ্গেও, আমাদের অন্যান্য শরীকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলাপ হবে।" "তখন সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটাই আমরা মেনে নেবো।'' কতজন মন্ত্রিত্ব নিতে পারেন, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মি. কাদের বলেন, '' এই বিষয়গুলো এখনো আমরা ঠিক করিনি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগুলো ঠিক হবে।" "কার কি রোল হবে, মন্ত্রিত্ব কয়জন হবে, হবে নাকি হবে না, এগুলো পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।'' সবদিকেই সবরকম সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলে হতাশা 'সৌরভ'কে ছেড়ে কোথায় গেল 'শচীন'? বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? বছর জুড়ে যে ৯টি ঘটনা আলোচিত ছিল এক নজরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল
সংসদ নির্বাচন: মহাজোটেই আছে, মহাজোটেই থাকতে চায় জাতীয় পার্টি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
অনেকে তাদের কাছে সেবা নিতে বেশি পছন্দ করেন প্রায় ১২ বছর ধরে পার্লারে কাজ করছেন তিনি। অন্য পেশার মত আট ঘণ্টা কাজ,সাপ্তাহিক ছুটি,বেতন সব মিলিয়ে ভাল চলছে তেমনটি বলছিলেন। লিপির মত এই পার্লারে আরো ৩৫জন মেয়ে কাজ করছেন বিভিন্ন সেকশনে। তবে তাদের মধ্যে ২৫ জন মেয়ে গারো সম্প্রদায়ের। অন্য অনেক পেশা থাকতে পার্লারে কাজ করাটাকে তারা কেন স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন? মনি আরেং-এর পরিবারের পাঁচজন নারী সদস্য কাজ করছেন ঢাকার বিভিন্ন পার্লারে। তিনি বলছিলেন কর্মস্থল হিসেবে নিরাপত্তার দিকটা চিন্তার করলে পার্লার তার কাছে নিরাপদ কর্মস্থল বলে মনে হয়েছে। তিনি বলছিলেন "নিরাপত্তা বড় একটা জিনিস। বাসা বাড়িতে বা গার্মেন্টসে কাজ করতে ইচ্ছা করে না। এখানে সবাই মেয়ে, মেয়েরা আসে সেবা নিতে, বস মেয়ে, তাই কাজ করতে কোন সমস্যা হয় না।" নিরাপত্তা একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন তারা মাতৃ-তান্ত্রিক গারো সমাজে পরিবারের প্রধান ব্যক্তি হন নারী। তাই ঘরে ঘরে প্রত্যেক নারীকে অর্থ উপার্জন করতে হয় সংসার চালানোর জন্য। তারা যেমন পার্লারে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ তেমনি এখানে যেসব নারীরা সেবা নিতে আসছেন তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই মেয়েরা। মিরপুরের একটি পার্লারে কথা বলছিলাম সেখানে সেবা নিতে আসা উম্মে রেমোনার সাথে। তিনি বলছিলেন "আমি যে পার্লারেই যাই না কেন সব খানেই দেখি তারা বেশি। আমারো ভালো লাগে ওদের কাছ থেকে সেবা নিতে। কারণ ওরা কাজ করে নিখুঁত এবং ভীষণ দক্ষ।" ঢাকার বেশির ভাগ পার্লারে যেসব মেয়েরা কাজ করেন তাদের অধিকাংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। তবে পার্বত্য অঞ্চল রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের মেয়েরা খুব একটা আসেন না এই পেশায়। সে তুলনায় ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনাসহ সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেয়েদের অনেকের পছন্দের পেশা পার্লারে কাজ। হারমনি স্পা-প্রধান নির্বাহী রাহিমা সুলতানা হারমনি স্পা-প্রধান নির্বাহী রাহিমা সুলতানা বলছিলেন তার স্পা ও সেলুন সেকশনে অধিকাংশ মেয়ে গারো সম্প্রদায়ের। তাদের নেয়ার কয়েকটি কারণ তিনি উল্লেখ করছিলেন এভাবে। তিনি বলছিলেন "প্রথমত তারা কর্মঠ, দ্বিতীয় তারা সৎ।" "আর কাজের প্রতি একনিষ্ঠ-যেটা আমার ভালো লাগে," রাহিমা সুলতানা। তিনি বলছিলেন "এখন বিউটি ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে, এখানে ওরা ভালো আয় করতে পারছে, পড়াশোনা কম হলেও সমস্যা নেই। আর তারা একজন যখন এই পেশায় আসে তখন পরিবার, প্রতিবেশী আরো অনেককে নিয়ে আসে। কারণ তারা নিজেদের দিয়ে একটা নিরাপত্তার বলয় তৈরি করতে চায়।" ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঠিক কত মেয়ে এই পেশায় রয়েছেন তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে রাজধানীর ছোট-বড় পার্লারগুলো ঘুরলে সেখানকার অধিকাংশ কর্মী যে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সেটা সহজেই চোখে পড়ে।
বিউটি পার্লারে কর্মীরা বেশিরভাগই বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে নিয়েও মানুষের আতঙ্ক আছে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্মকর্তারা সরকারি জমিতে তার দাফন সম্পন্ন করতে পারলেও এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটেনি। শনিবার রাতে ঐ ব্যক্তিকে দাফন করার সময় এলাকাবাসী আপত্তি জানালে শুরু হয় বিতর্ক। তাদের দাবি, এই লাশ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। অথচ ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটা এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)। তারপরও সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর নিয়মকানুন মেনেই দাফন সম্পন্ন করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে, ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মৃতদেহ খিলগাঁও কবরস্থানে দাফন করতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তার মরদেহ অন্য আরেকটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। সেখানকার মানুষজনের আতঙ্কের কারণ একই। তারা জানিয়েছে যেহেতু এই কবরস্থানের ভেতর দিয়ে তারা হাঁটাচলা করেন, এখানে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া কাউকে কবর দেয়া হলে তাদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে, তার লাশের সৎকার করা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটোকল মেনেই কাজ করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, আইইডিসিআর। কবরে লাশ নামানো হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দু'মাস পর আবার খুলেছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান ভারতে করোনাভাইরাস আসলে কত ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে? ধূমপায়ীদের কি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি? ভারতে যে লোকটি একাই 'সংক্রমিত করেছেন' ৪০ হাজার লোককে করোনাভাইরাস: ভেন্টিলেটর আসলে কী? এটা কেন জরুরি? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ দাফনে সম্ভাব্য কোন ঝুঁকির কথাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় উল্লেখ নেই। এ ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধি মোতাবেক সৎকারে করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরাও কোন ঝুঁকি দেখছেন না। বাংলাদেশের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বা এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলার সিভিল সার্জন অথবা সরাসরি আইইডিসিআর-এ অবহিত করতে হবে। সংস্থাটি নিজেদের ব্যবস্থাপনায় লাশের গোসল থেকে শুরু করে সেটা প্যাকেট করা এবং পরিবহনের ব্যবস্থাও করে থাকে। আইইডিসিআর -এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর জানান, রোগী যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বা তার লক্ষণগুলো যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে ধর্মীয় বিধি মেনে বিশেষ সতর্কতার সাথে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি রোগীর মৃত্যু এবং তার লাশ দাফনের আগ পর্যন্ত পুরো সময়টিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। "আইইডিসিআর এর প্রশিক্ষিত লোকজনই লাশের গোসল করিয়ে দেবে। এরপর লাশ কাফনের কাপড়ে জড়িয়ে বিশেষভাবে প্যাকেট করবে, যেন ভেতরের কোন ভাইরাস বাইরে সংক্রমিত না হয়। মৃতদেহ বহনকারী সেই ব্যাগটি কাউকে খুলতে দেয়া হবে না।" বলেন, মি. আলমগীর। এরপর লাশটি একটি সিল করা বাক্স বা কফিনে করে নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। লাশটি পরিবহন করতে হবে বিশেষ সতর্কতার সাথে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? লাশের সতকার যারা করবেন, তাদেরকে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সাথে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের প্রত্যেককে প্রতিরোধমূলক পোশাক পিপিই পরিধান করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাধারণত কবর দেয়ার পর লাশটি থেকে ভাইরাস সংক্রমণের কোন সুযোগ থাকেনা। কবরের আশেপাশের মাটি বা পাশে কোন জলাশয় থাকলেও এই ভাইরাস সংক্রমণ হবে না বলে তিনি জানান। আইইডিসিআর এর কর্মকর্তারা এরপরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কবরের চারিদিকে ভালভাবে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেন। দাফনের আগ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তি যে ঘরে ছিলেন, যেখানে তার গোসল করানো হয়েছে, যে পরিবহনে তাকে তোলা হয়েছে বা যেসব জায়গায় লাশ রাখা হয়েছে - সব জায়গা জীবাণুমুক্ত করার ওপর জোর দেন মি. আলমগীর। তিনি বলেন, "আমরা চেষ্টা করি দ্রুত কবর দিয়ে দিতে। লাশটি কিভাবে পরিবহন করা হচ্ছে, দাফন কাজ কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে সেটা নিয়ে মানুষ সচেতন হতে পারে। কিন্তু একজন ব্যক্তিকে কবর দিতে বাধা দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।" "একবার কবর হয়ে গেলে বৈজ্ঞানিকভাবে কোন ঝুঁকি থাকেনা। ঝুঁকি যা থাকে সেটা কবর দেয়ার আগে।" লাশের সৎকার কাজের সময় ভিড় না করা এবং জানাজা নামাজের সময় অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা জানান তিনি।
করোনাভাইরাস: আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের বড় অংশটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা এজন্য শ্রমিকরা থাকেন এমন দুইটি ডর্মিটরি অর্থাৎ আবাসস্থলকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। পাঙ্গল এলাকায় এস-১১ ডর্মিটরিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। ওয়েস্টাইল টোহ গুয়ান ডর্মিটরিতে ৬৮০০ শ্রমিক থাকেন যাদের মধ্যে ২৮জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব ডর্মিটরিতে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিকেরা বাস করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুইটি আবাসিক ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? শ্রমিকদের নিজেদের কামরা ও ব্লক থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের রুম বা ফ্লোরে থাকে না, এমন মানুষদের সঙ্গেও মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। ডর্মে থাকা শ্রমিকদের রোজ তিনবেলা করে খাবার দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। একেক কামরায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা একেক ডর্মে একেক রকম। কিন্তু ২০১৫ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কোন কোন কামরায় এমনকি ১২ জন পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ যদিও আগাম সতর্কতামূলক অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কাশি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। জাপানে জরুরি অবস্থা করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জাপানের সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সন্ধ্যায় আলাপে বসবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে। ওই বৈঠকের পরই জরুরী অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জাপানে ৩৬০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৫ জন। নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের হার হ্রাস নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমেছে। রোববার ওই রাজ্যে মোট ৫৯৪জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৬৩০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে 'সুরঙ্গের শেষে আলোর দেখা পাওয়া গেছে' বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মার্কিন উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচি মৃত্যুর হার কমাকে সাময়িক অগ্রগতি বলে মনে করেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস, তিনি মনে করেন আগামী সপ্তাহগুলো হবে 'খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং' সময়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২০০ মানুষ মারা গেছেন। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি, ডেট্রয়েট এবং নিউ অর্লিয়েন্সে এখনো করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কারণে মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের মত মেডিকেল সরঞ্জামের স্বল্পতা বহুগুণ বাড়বে বলে অনেক রাজ্যের গভর্নর ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন। অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে স্পেন এবং ইটালিতেও সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের হার কমে এসেছে, ধারণা করা হচ্ছে লকডাউনের ফলে এই উন্নতি হয়েছে। এদিকে, কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি না হওয়ায় তাইওয়ানের নাগরিক একজন নারীকে ডিপোর্ট করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আবার বাজারে আসা ক্রেতাদের ওপর ইচ্ছে কাশি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিউজিল্যাণ্ডে এক ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছে আদালত।
করোনাভাইরাস: সিঙ্গাপুর কোয়ারেন্টিন ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক, জাপানে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
টয়লেট-এক প্রেম কাথা সিনেমার পোস্টার। খোলা স্থানে মলত্যাগ করার কারণে অনেক নারীকেই দেশটিতে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ - এমনকি অনেকে ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন। এবার এই বিষয়টিকে নিয়ে হিন্দি ভাষার একটি সিনেমা তৈরি হয়েছে দেশটিতে, যেটির নাম 'টয়লেট-এক প্রেম কাথা'। এমন একটি সময়ে সিনেমাটি বানানো হয়েছে, যখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাড়িতে বাড়িতে আরো শৌচাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। 'টয়লেট-এক প্রেম কাথা' একটি প্রেমের সিনেমা, আর এখানে খলনায়ক হচ্ছে টয়লেট। "সিনেমাটি আসলে অনেক মজার। কিন্তু এর মধ্যেই সমাজের খুব বড় একটা সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে", বলছিলেন সিনেমাটির মূল নারী চরিত্র ভূমি পেডনেকার। আরো পড়ুন: 'পানির নীচে রাস্তা ভালো', ট্রাফিকের সাইনবোর্ড স্বামীগৃহ হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ধর্ষিতা রোহিঙ্গা নারীরা পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় সহিংসতার পেছনে কারণ কী ভারতে স্কুল বই থেকে গুজরাত দাঙ্গা বাদ দেওয়ার সুপারিশ ভারতের জনগোষ্ঠিীর একটি বিরাট অংশ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। তিনি এই সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, "অভিনয়ের জন্য খোলা স্থানে কাপড় তুলে মলমূত্র ত্যাগ করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারলাম এটা কতখানি অস্বস্তিকর। আমার মনে হল আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে"। সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'স্বচ্ছ ভারত' প্রচারণার প্রেক্ষাপটে। ২০১৪ সালে তিনি ঘোষণা করেন ভারতের লক্ষ লক্ষ বাড়িতে তিনি শৌচাগার নির্মাণ করে দেবেন। এই সিনেমাটিকেও তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। সিনেমার অভিনেতা আকশায় কুমার জানান প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার দেখা হয়েছে এবং এই সিনেমার বিষয়বস্তু শুনে খুশি হয়েছেন। এই সিনেমার মূল অভিনেতা আকশায় কুমার বলেন, "ভারতকে পরিষ্কার রাখতে একটা ছোট প্রয়াস বলতে পারেন"। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রচারণা সফল করার জন্য বলিউডে সিনেমা বানানোর দরকার হলো কেন? আকশায় কুমার বলেন, "ভারতে একসময় ৬৩ শতাংশ মানুষের শৌচাগার ছিল না। এখন সেটা ৫৩ শতাংশ। অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে। এটা শুধু বলিউডের অন্য আরেকটা সিনেমার মতো না। ভারতকে পরিষ্কার রাখতে একটা ছোট প্রয়াস বলতে পারেন"। কিন্তু ভারতের মানুষ বাড়িতে টয়লেট বানায় না কেন? অভিনেত্রী ভূমি দিচ্ছেন নিজের ব্যাখ্যা। "আমাদের সিনেমার ট্রেলারে একটা ডায়লগ আছে .. যে বাড়িতে তুলসী গাছ আছে, সেই বাড়িতে শৌচাগার থাকবে কিভাবে। অর্থাৎ যেখানে প্রার্থনা করা হয়, সেখানে মলমুত্র ত্যাগ কেন"?
ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নেপাল-ভারত সীমান্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এই মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছেন। ওদিকে ভারত-সীমান্তে অঘোষিত অবরোধ চলতে থাকায় নেপাল এই প্রথম তাদের উত্তরের প্রতিবেশী চীনের কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু করেছে, যার প্রথম চালান মঙ্গলবারই এসে পৌঁছেছে। কিন্তু নেপাল-ভারত সম্পর্কে আচমকা এত দ্রুত অবনতির কারণ কী? মাত্র বছরখানেক আগেও কাঠমান্ডুর রাজপথে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিবাদন জানাতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। নেপালের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে প্রতিবেশীদের মনও জয় করে নিয়েছিলেন মি মোদি। কিন্তু ওই সফরের ঠিক তেরো মাসের মাথায় নেপাল তাদের নতুন সংবিধান অনুমোদন করে, আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সে দেশের ভারত সীমান্তঘেঁষা এলাকার মদহেশিরা – যাদের পেছনে দিল্লিরও প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে বলে পর্যবেক্ষকরা একমত। মদহেশি নেতা ও নেপাল সদ্ভাবনা পার্টির প্রধান রাজেন্দ্র মাহাতোর বক্তব্য, ‘নতুন সংবিধানে এমনভাবে প্রদেশগুলো ভাগ করা হয়েছে যাতে সাতটির মধ্যে ছটিতেই মদহেশি, থারু বা পাহাড়ি জনজাতিদের ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। যেহেতু ভারতীয়দের সঙ্গে মদহেশিদের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে তাই ষড়যন্ত্র করে তাদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই এটা করা হয়েছে।’ অত:পর সীমান্ত এলাকায় মদহেশিদের বিক্ষোভে থমকে যায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। নেপালে জ্বালানি তেলের পুরো চালানটাই আসে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন মারফত, তাদের সব ট্রাক সীমান্তে আটকে পড়ে। নেপালের মতে এটা ভারতের অঘোষিত অবরোধ ছাড়া কিছুই নয়, কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকরা তা জোরালোভাবে অস্বীকার করছেন। নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রাই যেমন বলছেন, ‘ভারত একে নেপালের নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবেই দেখছে – যার সমাধান নেপালকেই করতে হবে। ভয় দেখিয়ে নয়, বরং হিংসামুক্ত পরিবেশে আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়েই এর সমাধান হতে পারে বলে আমরা মনে করি।’ বিবিসি-র নেপালি বিভাগের গনি আনসারি বলছিলেন, এই জ্বালানি সঙ্কটের কারণেই কিন্তু নেপাল চীনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে : তাঁর কথায়, ‘এখানে মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ – তারা বলছেন জ্বালানি যদি কিনতেই হয়, তাহলে ভারতের থেকেই কিনতে হবে তার কি মানে? একারণেই নেপাল চীনের সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহের নতুন চুক্তি করেছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত রাস্তা মেরামত হয়ে গেলে পুরোদমে সেই চালান শুরুও হয়ে যাবে।’ কিন্তু ওদিকে মদহেশিদের সঙ্গে সরকারের তিন-চার দফা আলোচনা হয়ে গেলেও দুপক্ষই নিজের অবস্থানে অনড় আছে বলে কোনও ঐকমত্য হচ্ছে না, বলছিলেন মি আনসরি। নেপালে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জীর মতে, মদহেশিদের সঙ্গে নেপাল সরকার যতদিন না আপস-রফায় পৌঁছতে পারছে ততদিন এই সঙ্কট মেটার আশা নেই। দেব মুখার্জী বিবিসিকে বলছিলেন, ‘কাঠমান্ডুর সরকার মদহেশিদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। অতীতের গিরিজাপ্রসাদ কৈরালা সরকার মদহেশিদের সঙ্গে একাধিক লিখিত সমঝোতা করেছিলেন, সেগুলোর সবই নতুন সংবিধানে উল্লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি যাকে ফোন করে তাঁর অসন্তোষ জানান, সেই নবনির্বাচিত নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি ক্ষমতায় আসার ঠিক আগেই আশা প্রকাশ করেছিলেন এই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে তাঁর ধারণা। তিনি বলেছিলেন, ভারতকে বুঝতে হবে নেপাল তাদের বন্ধুপ্রতিম এক প্রতিবেশী। কোনও কারণে দুপক্ষের মধ্যে একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি খুব বেশিদিন এই ভুলবোঝাবুঝি থাকতে পারে না। কে পি ওলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিন সপ্তাহ কেটে গেছে – এর মাঝে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমল থাপাও দিল্লি ঘুরে গেছেন, কিন্তু সেই ভুলবোঝাবুঝি মেটা তো দূরের কথা, ক্রমশ আরও জটিল আকার নিচ্ছে।
নেপাল আর ভারতের সম্পর্ক অবনতির কারণ কী?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গোলের পর মেক্সিকোর সমর্থকদের উল্লাস। খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় বলটি যখন নেট স্পর্শ করে তখন ফুটবলপ্রেমীরা এমনভাবে লাফাতে শুরু করলো যে তাদের পদভারে কেঁপে উঠলো মেক্সিকোর মাটি। দেশটির কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে এও বলা হলো, সমর্থকদের লাফালাফিতে দেশটিতে মৃদু ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আসলেই কি এরকম হতে পারে? দেশটিতে ভূমিকম্প নিয়ে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা, মনিটর ও জরিপ পরিচালনা করে, সেই ইন্সটিটিউট অফ জিওলজিক্যাল এন্ড এটমোসফেরিক ইনভেস্টিগেশন বলছে, সেসময় আসলেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির এক টুইট বার্তায় এরকমটাই দাবী করা হয়েছে: "রাশিয়ায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির বিরুদ্ধে মেক্সিকোর গোল করার পর উল্লাসের কারণে মেক্সিকো সিটিতে কৃত্রিম ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে।" নিচের ছবিতে ভূকম্পনের যে গ্রাফটি (সিসমোগ্রাম) তুলে ধরা হয়েছে তাতে লাল কালি দিয়ে ভূকম্পনের সময়টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে সিসমোমিটারের কাছে স্থানীয়ভাবে কী ধরনের ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল। আসলেই কী ঘটেছিল? ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে গোল হওয়ার পর মেক্সিকোর সমর্থকরা যখন উল্লাস করতে শুরু করে তখন স্থানীয়ভাবে তাদের দুটো সিসমোমিটারে ভূকম্পনের মাত্রা ধরা পড়তে শুরু করে। এই ইন্সটিটিউটের ব্লগে বলা হয়: "খেলার ৩৫ মিনিট সাত সেকেন্ডের সময় মেক্সিকো একটি গোল দিয়ে দেয়, তখন আমাদের মনিটিরং সিস্টেমে ভূকম্পনের একটি মাত্রা ধরা পড়ে। এই কম্পনের ত্বরণ ছিল ৩৭মি/এস২ যা মেক্সিকো সিটির ভেতরে কমপক্ষে দুটো সেন্সরে ধরা পড়ে। বড় ধরনের উল্লাসের কারণেই সম্ভবত এই কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে।" আরো পড়তে পারেন: চীনের উপর নতুন শুল্কের হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের গেমিং এর নেশা 'মানসিক রোগ' : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কীভাবে সাপ মানুষ খেয়ে ফেলতে পারে হার্ভিং লোজানো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে গোল করে ফেলেছেন। তবে ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে "এধরনের কম্পন খুব একটা বড় ঘটনা নয়।" তারা বলছেন, সমবেত সমর্থকরা যেখানে উল্লাস করছিল তার খুব কাছে অবস্থিত অত্যন্ত স্পর্শকাতর এসব যন্ত্রে এই কম্পন ধরা পড়ে। যেসব জায়গায় ফুটবল ভক্তরা জড়ো হয়েছিল তার একটি রাজধানী মেক্সিকো সিটির এঞ্জেল অফ ইন্ডিপেন্ডেস ভাস্কর্য চত্বর যার খুব কাছেই আছে একটি সিসমোমিটার। এই যন্ত্রটিতেই সেসময়কার ভূকম্পনের মাত্রা ফুটে ওঠে। এটা কি ভূমিকম্প ছিল নাকি ছিল না? ইন্সটিটিউট অফ জিওলজিক্যাল এন্ড এটমোসফেরিক ইনভেস্টিগেশনের ব্লগে এটা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে এই কম্পন এতোটাই মৃদু যে তার সাধারণ লোকজনের পক্ষে অনুভব করা বা বুঝতে পারা সম্ভব নয়। "এই ঘটনা কোন মাত্রা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। সেকারণে এটিকে ভূমিকম্প বলা যাবে না। যদি এটাকে ভূমিকম্প বলতে হয় তাহলে এর সাথে 'কৃত্রিম' শব্দটিও জুড়ে দিতে হবে। এটা যে ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি সেটা পরিষ্কার করে দিতে হবে।" আনন্দ উল্লাস কতোটা বেপরোয়া ছিল? নিচের ছবিগুলো দেখে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন: এঞ্জেল অফ ইন্ডিপেন্ডেস ভাস্কর্য চত্বরে একজন ভক্ত এভাবেই লাফ দিয়ে উপরে ওঠে যান। মেক্সিকো সিটির প্রধান চত্বর জোকালোতে সমর্থকদের উল্লাস। শিশুরাও যোগ দেয় জয়ের উল্লাসে। এরকম কি আগেও ঘটেছিল? হ্যাঁ, হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে আমেরিকান এক ফুটবল টুর্নামেন্টের সময়। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং অবার্নের ম্যাচের সময় লুইজিয়ানা যখন খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে তখন টাইগার স্টেডিয়ামে এরকম ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগে স্থাপিত সিসমোমিটারে ধরা পড়েছিল এই ভূকম্পন। এরপর থেকে ওই ম্যাচটি পরিচিত হয়ে ওঠে "ভূমিকম্পের খেলা' হিসেবে। অতি সম্প্রতি, ২০১৬ সালে নরিচের বিরুদ্ধে যখন লেস্টার সিটি শেষ মুহূর্তে গোল করে তখনও ইংল্যান্ডের মাটিতে এরকম কম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল।
মেক্সিকোর ভক্তদের উল্লাস কি আসলেই সেদেশে ভূমিকম্প তৈরি করেছিল?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান মি: হক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সাবেক সেনা সদস্যদের বিচার হলেও এর পেছনের রাজনীতি এবং ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তদন্ত হয়নি। সেজন্য তারা কমিশন গঠন করছেন। বিরোধীদল বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে টার্গেট করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কমিশন করা হচ্ছে কিনা-এই প্রশ্ন তাদের রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনার এখন ৪৫ বছর পুরো হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৩৫ বছর পর ২০১০ সালে সেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সাবেক সেনা সদস্যদের মৃত্যুদন্ড হয়। আদালতের রায়ে হত্যাকাণ্ডের পেছনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু বিস্তারিত উঠে আসেনি। কয়েকবছর ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং পেছনের শক্তি চিহ্নিত করার দাবি করে আসছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠনগুলো। হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা রকম রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ষড়যন্ত্রের নানা তত্ত্ব আলোচনায় রয়েছে। এবার এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ইতিহাসের স্বার্থে নেপথ্যের শক্তিকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। "কমিশন গঠনের চিন্তা ভাবনা শুধু নয়, এখন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।" কিন্তু কেন এই কমিশন? আইনমন্ত্রী বলেছেন, "কমিশন হবে এই কারণে যে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল-সমাজে এবং রাষ্ট্রে তাদের মুখোশ যদি উন্মোচন করা না হয়, তাদের অনুসারীরা হয়তো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন আমাদেরও আছে, সেই স্বপ্নও নষ্ট করতে পারে।" "সেইজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। এর পরের অধ্যায় হচ্ছে, নেপথ্যে কারা ছিল, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে কারা ছিল-তাদেরকে চিহ্নিত করা। এবং চিহ্নিত করে ইতিহাসটা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে রেখে যাওয়া। সে জন্য কমিশন গঠন করা। এটা কোন উইচ হান্টিং না।" হত্যাকাণ্ডের পেছনে সে সময়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতিও ছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন। বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুনের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান দলটির নেতারা বিভিন্ন সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের তখনকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কিছুদিন ধরে সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেসব প্রশ্ন বা বক্তব্যকে সামনে আনা হয়েছে। গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এক অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে ১৯৭৫ সালে ১৫ই অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের তাঁর ভাষায় আসল খলনায়ক হিসাবে অভিহিত করেছেন। এমন সব অভিযোগের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরে আসছেন। 'জিয়াউর রহমান টার্গেট' এখন কমিশন গঠনের সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত বলে তারা মনে করেন। "এতদিন পরে আবার এই ইস্যুটাকে আনা হচ্ছে, যেটার বিচার হয়ে গেছে এবং সাজা হয়েছে। সেটাকে আবার নিয়ে এসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবকে দায়ী করে কথা বলা হচ্ছে এবং সেটা নির্বাহী বিভাগের প্রধানের কাছ থেকেই বক্তব্য আসছে। এটা দেশ পরিচালনায় এবং সর্বশেষ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সামলাতে তাদের যে ব্যর্থতা, তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে সরাতে তারা এসব কমিশনের বিষয় আনছে।" মি: আলমগীর আরও বলেছেন, "অন্যদিকে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যেহেতু বিএনপি, সেজন্য এই দলকে আরও কীভাবে কাবু করা যায় বা কীভাবে আরও সমস্যায় ফেলা যায়-সেই চেষ্টারই আরেকটা উদাহরণ আরকি।" তবে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে কাউকে টার্গেট করে সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং কমিশন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবে। "যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, তারা ভয় পেতে পারেন। যারা জড়িত ছিলেন না, তাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মুজিব হত্যার পলাতক আসামীরা কোথায়, ফেরানোর প্রক্রিয়া কতোদূর শেখ মুজিব হত্যাকারীদের একজন আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর শেখ মুজিব হত্যার পর ৩২নং রোডের বাড়ী কেমন ছিল? ছবিতে শেখ মুজিবের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্ত বিরোধীদল বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে টার্গেট করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কমিশন করা হচ্ছে কিনা- এই প্রশ্ন তাদের রয়েছে। সেই সময়ের রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন তবে ৭৫ এর আগে শেখ মুজিবের সরকারের বিরুদ্ধে জাসদের আন্দোলন এবং ভূমিকা নিয়েও আওয়ামী লীগের প্রশ্ন রয়েছে।। যদিও জাসদের একটা অংশ এখন আওয়ামী লীগের মিত্র হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ আড়াই মাস ক্ষমতায় থেকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। সেই সরকারে আওয়ামী লীগেরও অনেকে মন্ত্রী ছিলেন। যদিও তাদের অনেকে পরে বলেছিলেন, বন্দুকের নলের মুখে তারা বাধ্য হয়ে তা করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভিতরেও তাদের নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শেখ মুজিব হত্যা মামলায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ অভিযুক্ত ছিল, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তার মৃত্যু হওয়ায় চার্জশিটে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রোববার এক অনুষ্ঠানে সে সময়ের দলের কিছু লোকের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনেছেন। "দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার এই প্রক্রিয়াটা শুরু করার জন্য দেখা গেছে, আমাদের দলের অভ্যন্তরে নানা ধরণের খেলা শুরু হয়। কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও দালালি করার চেষ্টা চালিয়েছিল।" অভ্যন্তরীণ এমন সব বিষয়ের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের জন্য নেপথ্যের শক্তি চিহ্নিত করা চ্যালেঞ্জ কিনা- এই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন, কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এবং তদন্তে কোন কিছুই বাধা হবে না বলে তারা মনে করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক রওনক জাহান বলেছেন, "ষড়যন্ত্রের থিওরি যেগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে যদি খুব সিরিয়াসলি আরও তথ্য উপাত্ত যোগাড় করা যায়, আর সেগুলো যদি জনসমক্ষে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে আমার মনে হয়, সেটা নিশ্চয়ই ভালই হবে।" আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিশন কীভাবে গঠন করা হবে, এর কার্যপরিধি এবং ক্ষমতা কী হবে-এসব বিষয় বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে তারা অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক করবেন।
মুজিব হত্যা: নেপথ্যে কারা তদন্তে কমিশন করছে সরকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নাথুরাম গডসে(বাম দিকে) ও নানা আপ্তে গান্ধী হত্যার দায়ে মি. গডসেকে ১৯৪৯ সালের ১৫ই নভেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এক সহযোগী নারায়ন আপ্তেরও ফাঁসি হয়েছিল একই সঙ্গে। সেই দিনকে স্মরণ করেই হিন্দু মহাসভা গোয়ালিয়রে তাদের দপ্তরেই গডসের মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বুধবার। সেখানে ইতোমধ্যেই মি: গডসের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, সন্ধ্যায় আরতির পরে প্রসাদ বিতরণও করা হয়েছে। মধ্য প্রদেশের ক্ষমতাসীন বিজেপি'র দিকে আঙ্গুল তুলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। তাদের ভাষায়, জাতির জনকের হত্যাকারীর মন্দির কীভাবে তৈরি হচ্ছে রাজ্যে? তবে হিন্দু মহাসভার নেতারা বলছেন, তারা যদিও আগে নাথুরাম গডসের মন্দির গড়ার জন্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এখন তারা নিজেদের দপ্তরেই মন্দিরটি তৈরি করছেন। হিন্দু মহাসভার সহ সভাপতি নারায়ণ শর্মা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, "১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময়ে যে ভাবে লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা একজন কট্টর হিন্দু হিসাবে মেনে নিতে পারেননি গডসে। সেজন্যই তিনি গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানানোর দরকার।" চির নিদ্রায় এ কে গান্ধী: ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসে মিঃ গান্ধীকে গুলি করেন। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি দিল্লির 'বিড়লা হাউস'-এ বিকেলের প্রার্থনায় যাওয়ার সময়ে মি. গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। যে ব্যারেটা পিস্তল থেকে মি. গডসে পরপর তিনটে গুলি চালিয়েছিলেন, সেটি গোয়ালিয়র থেকেই সরবরাহ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে। দিল্লির লাল কেল্লায় গান্ধী হত্যা মামলার বিচার চলার সময়ে নাথুরাম গডসে নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে তিনি দেশভাগের জন্য মি. গান্ধীকেই দায়ী বলে মনে করতেন। "গান্ধীজী দেশের জন্য যা করেছেন, আমি তাকে সম্মান করি। গুলি চালানোর আগে তাই আমি মাথা নীচু করে তাঁকে প্রণামও করেছিলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে ভাগ করার অধিকার কারও নেই, তিনি যতবড়ই মহাত্মা হোন না কেন। আর এর বিচার করবে, এমন কোনও আইন-আদালত নেই, সেজন্যই আমি গান্ধীকে গুলি করেছিলাম," আদালতে বলেছিলেন নাথুরাম গডসে। নাথুরাম গডসে আর নারায়ন আপ্তে'র ফাঁসির সাজা শোনালেও নাথুরামের ভাই গোপাল গডসেসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল আদালত। পরে দুজন ছাড়া পেয়ে যান। নাথুরাম গডসের এ ছবিটি ১৯৪৮ সালের ১২ই মে তোলা। ১৯৪৯ সালের ১৫ই নভেম্বর গডসে আর আপ্তের ফাঁসি হয় পাঞ্জাব রাজ্যের আম্বালা জেলে। তাঁদের পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়নি। জেল কর্তৃপক্ষই অন্তিম সংস্কারের বন্দোবস্ত করে কড়া নিরাপত্তায়। তবে চিতার আগুন প্রায় নিভে যাওয়ার সময়ে অত্রি নামে হিন্দু মহাসভার এক কর্মী লুকিয়ে সেই শ্মশানে পৌঁছেছিলেন। সেখান থেকেই কিছুটা অস্থি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন তিনি। গডসে পরিবারের কাছে সেই অস্থি একটা রুপোর কলসে রাখা রয়েছে নাথুরামের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী। গডসে পরিবার প্রতিবছর ১৫ই নভেম্বর সেই ইচ্ছাপত্র পড়ে শোনান সবাইকে, যেখানে লেখা আছে, 'শরীরের কিছুটা অংশ যত্ন করে রেখে দিও আর যখন সিন্ধু নদ আবারও স্বাধীন ভারতে অন্তর্ভুক্ত হবে আর অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন সিন্ধু নদে আমার অস্থি বিসর্জন দিও। এই কাজে দুই-চার প্রজন্ম লাগলেও সমস্যা নেই।"
গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসে'র মন্দির হচ্ছে ভারতে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
চলতি মাসে ভারতে কয়েক টন টমেটো চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা? বিবিসি মনিটরিং দেখেছে, কেউ যেন টমেটো চুরি করতে না পারে সেজন্যই অদ্ভুত এই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের কর্তৃপক্ষ। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, মধ্যপ্রদেশে এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও টমেটোর মৌসুম এখন নয়। সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকটি এলাকায় ফসলের উৎপাদন কম হওয়ায় শাক-সবজি ও ফলমূলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টমেটোর দামও অনেক বেশি বেড়ে গেছে। অথচ কয়েক মাস আগেও টমেটোর দাম অনেক কম ছিল। কিন্তু এখন টমেটো চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় ভারতের অনেক জায়গাতেই এর দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণেরও বেশি। আগে যেখানে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ রুপি, এখন সেখানে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ধরা হচ্ছে প্রায় ১০০ রুপি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে বলছে এই দামে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষেরা। এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন এক রিং: নারীদের মধ্যেও পেয়েছে জনপ্রিয়তা আমাকে ৬ মাস ধরে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করা হতো এরপর থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় টমেটো চুরি হবার খবর পাওয়া গেছে। চলতি মাসেই হাজার হাজার মূল্যের কয়েক টন টমেটো চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর তাই টমেটো পাহারা দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের প্রয়োজন মনে করেছে কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রদেশের দেবি আহিল্য বাই হোলকার মার্কেটের কর্তৃপক্ষ ছয়-সাতজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দিয়েছে টমেটো পাহারা দেয়ার জন্য। বিশেষ করে ট্রাক থেকে যখন সেগুলো নামা হয় তখন যেন সেসব কেউ চুরি না করতে পারে সেদিকেই দৃষ্টি রাখছে কর্তৃপক্ষ। আরো পড়ুন: ভারতে ফেইক নিউজের বিরুদ্ধে লড়ছেন যারা 'অন্যায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছি', বললেন বরিশালের ডিসি আল-আকসা থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেবে ইসরায়েল ভারতে হঠাৎ করে টমেটোর দাম অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
ভারতে টমেটো পাহারায় নিয়োগ করা হলো সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণে ওসামা বিন লাদেনের মা আলিয়া ঘানেমের সাক্ষাৎকার ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকার তিনি বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার ভাষায় এক 'কাল্ট' বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর পাল্লায় পড়েন এবং পুরোপুরি বদলে যান। তিনি আরো বলেন, তিনি তার ছেলেকে বার বার সাবধান করেছিলেন ওই গ্রুপটি থেকে দূরে থাকার জন্য। কিন্তু ওসামা বিন লাদেন কখনো তার মা-কে বলেন নিযে তিনি কি করছেন, কারণ তার মাকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। মনে করা হয় যে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে চারটি ছিনতাই করা বিমান দিয়ে যে সন্ত্রাসী হামলা হয় - যাতে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনে পেন্টাগন ভবন আক্রান্ত হয় এবং দু হাজারের বেশি লোক নিহত হয় - তার আদেশ ওসামা বিন লাদেনই দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের এাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে ২০১২ সালে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। গার্ডিয়ানের সাংবাদিক মার্টিন চুলোভের নেয়া সাক্ষাৎকারে বিন লাদেনের মা আলিয়া ঘানেম বলেন, কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়ার সময় ওসামা বিন লাদেন কিছু লোকের সংস্পর্শে আসেন - এবং তারাই তার ছেলের মগজ ধোলাই করে, যখন তার বয়েস ছিল ২০এর কোঠায়। ওসামা বিন লাদেন আলিয়া ঘানেমের কথায় - "বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই লোকেরাই তাকে বদলে দেয়, সে একেবারে অন্যরকম মানুষ হয়ে যায়।" "আপনি বলতে পারেন এটা ছিল একটা কাল্ট - আমি তাকে সবসময়ই বলতাম ওদের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু সে কখনো স্বীকার করেনি সে কি করছে, কারণ আমাকে সে খুবই ভালোবাসতো।" ১৯৮০র দশকে ওসামা আফগানিস্তানে চরে যান রাশিয়ার দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তার ভাই হাসান - যিনি এই সাক্ষাতকারের সময় উপস্থিত ছিলেন, যোগ করলেন - "প্রথম দিকে যারই তার সাথে দেখা হয়েছে সে-ই তাকে সম্মান করেছে। শুরুর দিকে আমরাও তাকে নিয়ে গর্বিত ছিলাম। এমনকি সৌদি সরকারও তাকে সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখতো। তার পরই সে হয়ে উঠলো মুজাহিদ ওসামা।" তার মা ঘানেম বলছিলেন, "ওসামা স্কুলে ভালো ছাত্র ছিল, পড়াশোনা ভালোবাসতো। সে তারসব টাকাপয়সা আফগানিস্তানের পেছনে খরচ করেছে। পারিবারিক ব্যবসার ছুতো করে সে সন্তর্পণে কোথায় কোথায় চলে যেতো।" তিনি কি কখনো সন্দেহ করেছিলেন যে তার ছেলে জিহাদি হয়ে উঠতে পারে? "আমার মনে কখনো এমন ভাবনা আসেনি।" যখন জানতে পারলেন তখন কেমন লেগেছিল। "আমরা খুব ভেঙে পড়েছিলাম, এমনটা হোক আমি চাই নি। কেন সে এভাবে সবকিছু ত্যাগ করতে যাবে?" ৯/১১র আক্রমণের নির্দেশ ওসামা বিন লাদেনই দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয় বিন লাদেন পরিবার বলছে, তারা ওসামাকে সর্বশেষ দেখেছেন ১৯৯৯ সালে, আফগানিস্তানে। কান্দাহার শহরের বাইরে তাদের ঘাঁটিতে দুবার তারা দেখা করতে গিয়েছিলেন। "জায়গাটা ছিল বিমানবন্দরের কাছে, যা তারা রুশদের হাত থেকে দখল করেছিল। " - ঘানেম বলছিলেন, "আমাদের পেয়ে সে খুব খুশি হয়েছিল, আমাদের প্রতিদিন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাতো। একটা পশু জবাই করে একটা ভোজ দেয়া হলো। তাতে সবাইকে দাওয়াত দেয়া হলো।" ওসামা বিন লাদেনের বাবা ইয়েমেনি হলেও তার মা আলিয়া ঘানেমের জন্ম এক সিরিয়ান আলাওয়াইট শিয়া পরিবারে। তিনি সৌদি আরবে আসেন ১৯৫০এর দশকের মাঝামাঝি, আর ওসামার জন্ম ১৯৫৭ সালে। তিন বছর পর ওসামার বাবাকে তালাক দেন তিনি, বিয়ে করেন আল-আত্তাসকে, যিনি বিন-লাদেনদের অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যেরই একজন প্রশাসক ছিলেন। ওসামার বাবা কমপক্ষে ১১জন স্ত্রীর গর্ভে ৫৪টি পুত্রকন্যার জন্ম দেন। ওসামা বিন লাদেন ওসামার আরেক ভাই আহমদ গার্ডিয়ানকে বলেন, নাইন-ইলেভেনের ১৭ বছর পরও তাদের মা ওই ঘটনার জন্য ওসামাকে দোষ দিতে চান না। তিনি দোষ দেন তার চারপাশের লোকদেরকে। আহমদ বলছিলেন, তাদের মা শুধু ওসামাকে 'ভালো ছেলে' হিসেবেই জানেন, জিহাদি ওসামাকে তার কখনো জানা হয় নি। পাকিস্তানের এ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন রাদেন যখন মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিহত হন - তখন তার যে স্ত্রী-সন্তানরা ছিলেন - তারা এখন জেদ্দায় থাকেন। তাদের শহরের মধ্যে চলাফেরার অধিকার আছে তবে দেশের বাইরে যাবার অনুমতি নেই। আলিয়া ঘানেম বলছেন, "আমি ওসামার হারেমের সাথে প্রায় সপ্তাহেই কথা বলি। তারা কাছেই থাকে। " ওসামা বিন লাদেন ও আয়মান আল-জাওয়াহিরি ওসামা বিন লাদেনের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে ২৯ বছর বয়স্ক হামজার কথা বিন লাদেন পরিবারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন গার্ডিয়ানের সাংবাদিক । হামজা এখন আফগানিস্তানে আছে বলে ধারণা করা হয়। গত বছর তাকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র, এবং তাকে আলকায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির ছত্রছায়ায় তার পিতার 'উত্তরসূরী' বলে মনে করা হয়। হাসান বলছিলেন, "হামজা বলেছিল, সে তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নেবে। আমি তার কথা আর শুনতে চাই না।" "তার সাথে দেখা হলে আমি বলতাম 'আল্লাহ যেন তোমাকে পথ দেখান - তুমি যা করছো তা নিয়ে দু'বার ভাবো, তুমি তোমার আত্মার এক ভয়ংকর অংশে পা ফেলছো, তোমার পিতার পথ নিও না।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: লাদেন তার শেষ সাক্ষাৎকারে কী বলেছিলেন হামিদ মীরকে
'মগজ ধোলাই হয়ে উগ্রপন্থী হয়েছিল আমার ছেলে' - বলছেন ওসামা বিন লাদেনের মা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন প্রমাণ নেই এখনও। এরকম কল্পকাহিনী নিয়ে অনেক সাহিত্য ও চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ভিনগ্রহ থেকে আসা এরকম কোন প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি আজ পর্যন্ত। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা বিশ্বাস করেন এলিয়েনের অস্তিত্বের কথা। শুধু তাই নয়, তারা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই এরকম কিছু এলিয়েন কোনএক সময় নেমে এসেছিল এবং সরকার তাদেরকে নেভাডার এরিয়া ৫১ নামের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। এই ধারণায় বিশ্বাসীদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে এবং এলিয়েন দেখার আশায় তারা এখন সেখানে যাওয়ারও পরিকল্পনা করছে। আরো পড়তে পারেন: চাঁদে যাওয়া নিয়ে সোভিয়েত ও আমেরিকার লড়াই চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো মনে করেন যারা চন্দ্রাভিযানের ফলে জীবনযাত্রায় যে ৮ পরিবর্তন এসেছে এরিয়া ৫১ নেভাদার একটি সুরক্ষিত এলাকা। ঘটনাটি শুরু হয় কৌতুকের মাধ্যমে। এলিয়েন দেখার জন্যে নেভাডার প্রত্যন্ত ওই এলাকাটিতে যাওয়ার একটি ইভেন্টেও খোলা হয় ফেসবুকে। ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়: স্টর্ম এরিয়া ৫১, দে ক্যান্ট স্টপ অল অফ আস। অর্থাৎ চলো যাই এরিয়া ৫১, তারা আমাদের সবাইকে থামাতে পারবে না। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০শে সেপ্টেম্বরের এই ইভেন্টে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ সাইন-আপ করেছে। এছাড়াও 'আগ্রহী' হিসেবে মার্ক করেছে আরো ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এরকম পরিস্থিতিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কেউ যে এরিয়া ৫১ এর ধারে-কাছেও না যায়। নেভাডার এই এলাকাটি বিমান বাহিনীর অত্যন্ত গোপনীয় একটি ঘাঁটি কিন্তু ইভেন্টে সই করা বহু মানুষ বিশ্বাস করে সেখানে ভিনগ্রহ থেকে আসা প্রাণীদের রাখা হয়েছে। বিমান বাহিনীর সতর্কতাকে পাত্তা দিচ্ছে না অনেক উৎসাহী ব্যক্তি। হাজার হাজার মানুষ সেখানে মন্তব্য করেছেন এরকম: "আমরা তাদের বুলেটের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে পারি। এলিয়েনদের দেখতে দাও।" ভিন গ্রহের প্রাণী নিয়ে অনেক শিল্প সাহিত্য ও চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন, তারা এই ইভেন্ট হতে দেবেন না। তিনি বলেন, "আমরা আমেরিকা ও তার সম্পদ রক্ষার জন্যে প্রস্তুত।" ফেসবুকে এই ইভেন্টের একজন আয়োজনকারী জ্যাকসন বার্নেস ইভেন্ট পাতায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, "এটা একটা কৌতুক। এই পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুনোর কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই।" "আমি শুধু ভেবেছি এটা খুব মজার বিষয় হবে। এখন লোকজন যদি সত্যিই এরিয়া ৫১-তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমি এর জন্যে দায়ী হবো না।" কিন্তু বিমান বাহিনী এরকম একটি ইভেন্টকে এখন আর "মজার বিষয়" হিসেবে নিচ্ছে না। "এরিয়া ৫১ হচ্ছে মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ রেঞ্জ। আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর লোকজনকে যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এরকম একটি জায়গায় আসার ব্যাপারে আমরা লোকজনকে নিরুৎসাহিত করছি," বলেন বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র। নেভাডার এই এরিয়া ৫১ সম্পর্কে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি। এর আগে এই এলাকাটিকে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইউ-টু নামের একটি গোয়েন্দা বিমানের ব্যাপারে গোপন তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ প্রথমবারের মতো এরিয়া ৫১-এর কথা স্বীকার করে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই এলাকাটিকে ঘিরে এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় সেকারণেই সেখানে এলিয়েন লুকিয়ে রাখার মতো "ষড়যন্ত্র তত্ত্বের" জন্ম হয়েছে। নেভাদার মরুভূমি এলাকায় অবস্থিত এরিয়া ৫১। এই তত্ত্বকে ঘিরে গুজবের ডালপালা এতোই বিস্তৃত হয়েছে যে অনেকেই মনে করেন যারা এই ইভেন্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বাসীদের অনেকে মনে করেন এলিয়েনের জীবন ও ইউএফও সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কাছে অনেক তথ্য আছে কিন্তু সেগুলো তারা জনগণের কাছে গোপন রেখেছে। তারা বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে নেমে আসা এরকম কিছু এলিয়েনকে আটক করে কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এরকম ধারণা সবসময়ই অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরিয়া ৫১-তে কাজ করেছেন এরকম এক ব্যক্তি বব লাজার ১৯৮৯ সালে টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন এরকম কিছু দাবি করেন তখনই এই "ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" তীব্র হতে শুরু করে। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে তার উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে যাকে কেন্দ্র করে লোকজনের মধ্যে এলিয়েনের ব্যাপারে আবারও আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। মি. লাজার যেসব দাবি করেছেন সেবিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। আরো পড়তে পারেন: ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০ এর বেশি দেশীয় মাছ মিন্নির গ্রেফতার নিয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার যা বললেন হিন্দু ছাত্রীকে কোরান বিলির নির্দেশ ভারতের আদালতের
ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট: সতর্ক করে দিয়েছে সামরিক বাহিনী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ষাট বছর বয়সের পর মানুষের শরীরে বিভিন্ন অসুস্থতা ধরা পরে। কিন্তু একই সাথে চোখে পড়লো তার হাতের হালকা কাঁপুনি। নিজের শরীরের নানা ধরনের সমস্যার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, "আমার হাড়ে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, এইসব ব্যথা। শরীর কাঁপে, আমি দাড়িয়ে থাকতে পারি না।" তিনি বলছিলেন বাংলাদেশের আরও অনেক প্রবীণ ব্যক্তির মতো সারাদিন জায়নামাজের উপরেই দিনের লম্বা সময় কেটে যায় তার। হয়ত একটু টেলিভিশনের চ্যানেল ঘোরানো, পারলে কিছুটা ঘরকন্নার কাজ। খুব বেশি সময় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মনে হচ্ছিলো এর বেশি হলে তাকে বরং কষ্টই দেয়া হবে। কিন্তু যে ধরনের শারীরিক সমস্যার কথা তিনি বর্ণনা করছিলেন সেরকম বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশে একেবারে নেই বললেই চলে। তেজকুনি পাড়ার বাসিন্দা রিজিয়া বেগম বলছিলেন তার মতো বয়স্কদের পক্ষে আর সবার মতো হাসপাতালে লম্বা সিরিয়ালে বসে থাকা বেশ কষ্টের। তিনি বলছেন, সাধারণত হাসপাতালগুলোতে অল্পবয়সী ও বয়স্কদের একই ডাক্তার সেবা দিয়ে থাকে। "অন্যান্য মানুষদের যেরকম দেখে আমাকেও সেরকমই দেখে। বয়স্কদের জন্য আলাদা ডাক্তার থাকলে বেশি ভালো হয়। ভাগ ভাগ করে দিলে আমরা তাড়াতাড়ি যেতে পারি। অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে যাই।" আরো পড়তে পারেন: সৌদি আরবে নির্যাতন করা হয়নি বললে তবেই মুক্তি? আর্কটিক সাগরে কী পরীক্ষা চালাচ্ছিল রাশিয়া চামড়ার জন্যে এশিয়ান হাতি নিধন বাড়ছে ঢাকায় ড্রোন ওড়ানোর ওপর বিধিনিষেধ কেন তেজকুনি পাড়ার বাসিন্দা রিজিয়া বেগম। তার সাথে কথা হচ্ছিলো ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় প্রবীণ হাসপাতালে। এই হাসপাতালটিতে বিভিন্ন চিকিৎসকদের ঘরের সামনে প্রবীণদেরই প্রাধান্য দেখা গেলো। দেশের একমাত্র জেরিয়াট্রিক হাসপাতাল এটি। রিজিয়া বেগমের মতো বাংলাদেশে ষাটের উপরে যাদের বয়স তাদের প্রবীণের মর্যাদা দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী তাদের সংখ্যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক কোটি তিরিশ লাখের মতো। এতদিনে তা হয়ত দেড় কোটিতে পৌঁছে গেছে। জেরিয়াট্রিক কনসালটেন্ট ড. আমিনুল হক বলছিলেন কি কারণে প্রবীণদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন। তিনি বলছেন, "অল্প বয়সে একজন প্রবীণের যে শারীরিক গঠন ছিল, ক্ষমতা ছিল, সেগুলো পরে আর থাকে না। ষাট বছর বয়সের পর মানুষের শরীরে বিভিন্ন অসুস্থতা ধরা পরে।" "এটা শারীরিক ও মানসিক। শারীরিক দিক দিয়ে যেমন দুর্বলতা দেখা দেয়, রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, ক্যান্সার, কিডনির রোগ, আর্থ্রাইটিস এসব ধরা পরে। এখন অল্প বয়সীদের যেভাবে চিকিৎসা করা হয়, বয়স্কদের সেভাবে চিকিৎসা করা যায়না।" তিনি বলছেন বয়সের কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষমতা কমে যায়। সেসব মাথায় রেখে তার চিকিৎসা দিতে হয়। তার ঔষধের ধরন ও মাত্রা অন্যরকম হবে। অনেক বয়স্ক রোগীর ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। জেরিয়াট্রিক কনসালটেন্ট ড. আমিনুল হক বলছেন বয়সের কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষমতা কমে যায়। নিজের ঔষধের সময় ও মাত্রা হয়ত ঠিকভাবে মনেই রাখতে পারবে না তারা। অনেকে নিজের মল-মূত্রের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। ডা. হক বলছেন একারণেই তাদের আলাদা সেবা দরকার। ড. হক জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন। তিনি বলেন বাংলাদেশে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনার কোন ধরনের ব্যবস্থাই নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যন্ত এই বিষয়ে আলাদা ইউনিট নেই। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খুব ছোট পরিসরে জেরিয়াট্রিক সেবা শুরু করেছে। অনেক সময় বয়স্কদের সেবা দিতে পরিবারের লোকেরাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। প্রবীণ হাসপাতালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লায়লা সাবেকুন নাহার বলছেন জেরিয়াট্রিক সেবার অভাবে বয়স্ক নারীরা আরও বেশি সমস্যায় পরেন। ডা. লায়লা সাবেকুন নাহার বলছেন জেরিয়াট্রিক সেবার অভাবে বয়স্ক নারীরা আরও বেশি সমস্যায় পরেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সাধারণত অল্প বয়সে নারীদের বিয়ে হয়। বাচ্চা নিতে হয়, বাচ্চা পালতে হয়, সংসারটা নারীদের উপরেই থাকে।" "দেখা যায়, তারা ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না, নিজেদের খেয়াল করে না। যখন মেনোপজ হয় তখন মহিলারা অনেক ভুগতে থাকে। বেশিরভাগ মহিলাদের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি'র ঘাটতি দেখছি আমি।" মিজ. সাবেকুন নাহারের মতে অনেক বেশি সন্তান জন্ম দেয়ার কারণেও বয়স্ক নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় বেশি ভোগেন। তারা ওভারি ও জরায়ুর নানা সমস্যা নিয়ে আসেন। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএর হিসেবে ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি হয়ে যাবে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবীণদের জনসংখ্যা অপ্রাপ্তবয়স্ক ও তরুণদের ছাড়িয়ে যাবে। প্রবীণদের সেবায় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান বলছেন, প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় এখনই বিনিয়োগ না করলে বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপদে পড়বে। তার মতে, "আমরা বিপদে পরবো এই কারণে যে বর্তমানে যে দেড় কোটি প্রবীণ, তারা আসলে দেড়কোটি রোগী।" প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান বলছেন, প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় এখনই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। "ইউএনএফপিএ বলছে ২০৫০ সালে সাড়ে চার কোটি হয়ে যাবে। প্রবীণ বাড়ছে মানে রোগী বাড়ছে। জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের জন্য আমাদের ডিগ্রি, কোর্স, হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা, দীর্ঘমেয়াদী সেবা, শেষ সময়ের সেবা এসব চালু করা প্রয়োজন।" সর্বশেষ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ষাটোর্ধদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সরকারি হাসপাতালগুলো সহ আলাদা জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠার চিন্তা কতটা রয়েছে? তিনি বলছেন, "এটা ঠিক যে হাসপাতালগুলোতে এই বিষয়ে আলাদা জেরিয়াট্রিক ইউনিট নেই। আমরা আমাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো থেকেই শুরু করতে পারি।" হাসপাতালগুলোতে ষাট বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, দেখা যাবে শতকরা তিরিশ বা চল্লিশ ভাগ রোগীই এই বয়সী। আমরা ভাবছি তাদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করবো, তাদের জন্য আলাদা আউটডোরের ব্যবস্থা করবো।" জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে হলে জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিষয়ে আলাদা পড়াশোনা ও এই বিষয়ক বিশেষজ্ঞ তৈরিও জরুরী। মেডিকেল কলেজগুলোতে এই বিষয়ে আলাদা ডিগ্রি তৈরি করাও জরুরী। কিন্তু সেটি সহসাই সম্ভব নয় বলে মনে হচ্ছে। ডা. আজাদ বলছেন আপাতত এখন হাসপাতালে ডাক্তার নার্স যারা রয়েছেন তাদের আলাদা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কিন্তু সবমিলিয়ে পরিস্থিতির বিবেচনায় মনে হচ্ছে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় আরও বহুদূর যেতে হবে বাংলাদেশকে। আমেরিকায় নিঃসঙ্গ প্রবীণদের সাহায্য করছে ডিজিটাল 'পোষা প্রাণী' বা 'অবতার'
প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক বা 'জেরিয়াট্রিক কনসালটেন্ট' নেই কেন?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ঢাকার রাস্তার ফুটপাতগুলো হাঁটার উপযুক্ত নয়, অভিযোগ অনেকের আর থাকলেও সেটা কতটা হাঁটবার উপযোগী? হাঁটতে গিয়ে পথচারী কী ধরণে বিপদ-আপদের মুখে পড়তে পারেন? ১. নোংরা ও দুর্গন্ধ ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা বলে পরিচিত তেজগাঁও শিল্প এলাকা। দুপুর ১২টার দিকে, লিংক রোড পার হয়ে নাবিস্কো মোড় দিয়ে সাতরাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের মত রাস্তা হবে। এই রাস্তাটুকু একজন সুস্থ মানুষের পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ২০ মিনিট। কিন্তু এই রাস্তাটুকু পার হতে আমার সময় লেগেছে ৪৫ মিনিটের বেশি। এর মধ্যে কয়েকবার ভাঙা-এবড়োথেবড়ো ফুটপাত, আর নোংরা ও দুর্গন্ধের কারণে রাস্তার একপাড়ের ফুটপাত ছেড়ে অপর পাড়ে যেতে হয়েছে। তেজগাঁও এ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা বলেন, "ফুটপাতে অনেক সময়ই দেখা যায় মানুষ প্রস্রাব করে, নোংরা ফেলে যায়, এগুলো দেখার কেউ নাই।" ২. পথচারীদের ধাক্কা এক কিলোমিটারের মতো রাস্তা হেঁটে যেতে পথচারীদের ধাক্কা হজম করতে হয়েছে কয়েকবার। ওই সময়ে একই রাস্তায় হাঁটছিলেন এমন কয়েকজন পথচারী নারীর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তারাও একই অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। ৩. ছিনতাইয়ের ঝুঁকি একটি বিস্কুট কারখানার মান-নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, "হাঁটার সময় নিরাপত্তা একটা বড় সমস্যা, কারণ সন্ধ্যার পরই হাঁটার সময় অনেক জায়গায় আলো থাকে না, আমার নিজের দুইবার ছিনতাই হয়েছে এই ফুটপাতেই। ফলে আমি রাত হয়ে গেলেই আর হাঁটি না রাস্তায়।" ঢাকার রাস্তার ফুটপাতগুলো হাঁটার উপযুক্ত নয়, অভিযোগ অনেকের ৪. নারীদের বিপদ সম্প্রতি ঢাকার একটি ব্যস্ত রাস্তায় বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। এ ঘটনাটি বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তুমুল প্রতিবাদ হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বলছিলেন, "শুধু রাস্তায় না, এমনকি বাসার সামনে হাঁটতে গেলেও রাস্তায় ইভটিজিং এর শিকার হতে হয় আমাদের। এজন্য বাসা থেকেও খুব একটা উৎসাহ দেয় না হাঁটার ব্যাপারে।" ৫. ফুটপাতে যানবাহন ঢাকার ফুটপাতে সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চলার দৃশ্যের সাথে অনেকেই কমবেশি পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার সুবর্ণা বলছিলেন, "ফুটপাত থাকে অনেক সরু, বাড়ি ফেরার সময় দেখা যায় ঐ সরু ফুটপাতেই আবার মোটর সাইকেল ওঠে, তার মধ্য দিয়ে হাঁটতে হয়"। ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলার কারণে, বিশেষ করে অফিস ছুটির সময় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পথচারীরা দুর্ঘটনার আশংকায় থাকেন বলে জানিয়েছেন বিবিসিকে। দৌড়ানোর টিপস: কী করবেন, কী করবেন না ৬. দুর্ঘটনার আশঙ্কা ঢাকাতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। এসবের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। ঢাকার রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দুই পথচারী শিক্ষার্থী বাসের ধাক্কায় নিহত হবার পর বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল শিক্ষার্থীরা। এসব বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী কয়েকদিন ধরে ঢাকা শহর অচল করে রেখেছিল, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে। ৭. অবকাঠামো নির্মাণ ফুটপাত সংলগ্ন অনেক অবকাঠামোই নির্মাণ প্রকল্পই দেখা যায় ঢাকায়, যেখানে ফুটপাত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আবার বহুতল নির্মাণ প্রকল্পগুলো এমনই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলতে দেখা যায় যে অনেক পথচারীরই হয়তো সারাক্ষণ মনে হতে পারে যে, এই বুঝি মাথার উপর একটি ইট এসে পড়লো। এছাড়া, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভারের মতো মেগা নির্মাণ প্রকল্প এলাকাগুলোতে ফুটপাত ধরে যে হাঁটার জো থাকেনা, এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহে অনেকেই একমত হবেন। এমনকি কোন কোন মেগা প্রকল্প এলাকায় এককালে ফুটপাত থাকলেও এখন এ ধরণের কিছুর অস্তিত্বই আর নেই। ফুটপাত দখল করে দোকানপাট গড়ে উঠেছে অনেক রাস্তায় না হাঁটতে পেরে যেসব বিপদে পড়ছে মানুষ বিশেষজ্ঞরা বলছেন গত কয়েক দশকে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে ক্রমে মানুষের মধ্যে হাঁটার প্রবণতা কমে গেছে। ফলাফল হিসেবে মানুষের মধ্যে স্থূলতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হবার হারও আগের চেয়ে বেড়েছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রায় ২০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এবং প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ শিশু স্থূলতা বা ওবেসিটিতে ভুগছে। চিকিৎসক ডা. ফারহানা খানম বলছিলেন, স্থূলতার কারণে যেসব রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়, তার মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ অন্যতম "মানুষ তো এখন অনেক কম হাঁটে, এজন্য এখন এমনকি শিশু-কিশোরদের মধ্যেও স্থূলতা দেখা যায়। স্থূলতা থেকে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা হতে পারে।" "এছাড়া এখন শারীরিক নিস্ত্রিয়তার কারণে মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় বেশি, এ থেকে মানুষের শরীরের অনেক প্রত্যঙ্গে যেমন চোখ বা শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।" সরকারের উদ্যোগ কী? ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থার করার জন্য ফুটপাথ দখলমুক্ত, সড়কবাতির সংখ্যা বাড়ানো এবং শহরের পার্ক দখলমুক্ত করার নানা ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। তবে সেসব উদ্যোগের অনেকগুলোই যে সফল হয়নি, সেটিও স্বীকার করেছেন তিনি "ঢাকা দক্ষিণ সিটির রাস্তায় আমরা ৪২ হাজার দুইশোর বেশি সড়কবাতি লাগিয়েছি। এছাড়া গুলিস্তান, মতিঝিল এবং নিউমার্কেটের ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেছি কয়েকবার।" "তবে সমস্যা হলো দখলমুক্ত করার দুয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো আবার দখল হয়ে যায়। একবার সবোর্চ্চ নয়মাস দখলমুক্ত রাখতে পেরেছিলাম আমরা, এরপর আর পারিনি।" ফুটপাথ এবং পার্ক দখলমুক্ত করার পর সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারিতে না রাখলে, ভবিষ্যতেও সেগুলো বেশিদিন দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকার মোট ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠকে দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ১২টি পার্ক ও খেলার মাঠ ইতিমধ্যেই নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আরো খবর: খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টায় বিএনপি কেন নাজুক অবস্থানে কোয়ারেন্টিন করা জাহাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই জার্মানির বারে বন্দুকধারীর গুলিতে ৮ জন নিহত মায়ের হত্যাকারীর সাথে দেখা হলে তাকে কী বলবেন? নারী সেজে ইসরাইলি সেনাদের হামাসের ধোঁকা ইদলিবকে কেন্দ্র করে কি সিরিয়া-তুরস্ক যুদ্ধ বেধে যাবে?
ঢাকার রাস্তায় ও ফুটপাতে পায়ে হেঁটে চলার ৭টি বিপদ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
আন্দোলন চলার সময় ঢাকার রাস্তায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। (ফাইল ফটো) তবে মুক্তিপ্রাপ্তদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, জামিন পেলেও মামলা ঝুলে থাকায় তাদের ক্রমাগত শঙ্কার ভেতরে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আপাতত মুক্তি পেলেও যার আটক নিয়ে দেশে বিদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ দেখা গেছে সেই আলোকচিত্রী এবং অ্যাকটিভিস্ট শহিদুল আলম এখনও কারাগারে। ঈদের দিন এবং পরদিন তার সাথে কারাগারে সাক্ষাতের পর পরিবারের সদস্যরা মি. আলমের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এবং তাকে কারাগারের বাইরে হাসপাতালে নেওয়ার দাবি করেছেন। আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: কী ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে? সব দাবী মেনে নিয়েছি, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আটকদের মধ্যে ৫১ জন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের সকলেই ঈদের আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এমন দু'জন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন,মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় এখনও তাদের মধ্যে ভয় রয়েছে। তাদের কয়েকজনের অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়গুলো নিয়ে আর কথা বাড়াতেই রাজী নন। এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেতাদের যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদেরও জামিনে মুক্তি মিলেছে ঈদের আগে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ফোরামের আহবায়ক হাসান আল মামুন বলছিলেন,তাদের আন্দোলনের আটক ১২ জনের মধ্যে এখনও একজন কারাগারে আছে। "আমাদের ১২জনকে ধরা হয়েছিল। ১১জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে আমাদের এক বোন লুমা এখনও মুক্তি পাননি। তার জামিনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।" নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের ঘটনায় একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ নিয়ে সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছিল। আর সেই প্রেক্ষাপটে ঈদের আগে ঐ আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তি পেয়েছেন, তেমনি একইসাথে মুক্তি পেয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িতরাও। তাদের সবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, ভাঙচুর বা নাশকতার অভিযোগে ৫০টির বেশি মামলা আছে। এখন মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি তুলছে। তবে এমন দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই মুহুর্তে কিছু বলতে রাজি হননি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, "এখন মামলাগুলো কিন্তু তদন্তাধীন। এই পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহার বা মামলার কোনো পদক্ষেপ সম্পর্কেই সরকারের কারও কিছু বলা উচিত না। কারণ তাতে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে।" "দেখেন, যেকোনো মামলা প্রত্যাহারের ক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু আমি আবারও রিপিট করছি, এই মামলাগুলো যেহেতু তদন্তে আছে, সেজন্য এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলা ঠিক হবে না।" অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কাজী নওশাবা আহমেদও জামিনে ঈদের আগের দিন মুক্তি পেয়েছেন। তবে, যাকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে দেশে বিদেশে সবচেয়ে বেশি আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, সেই গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম মুক্তি পাননি। কারাগারে শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য নিয়ে তার পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ঈদের দিন এবং পরদিন পর পর দু'দিন মি: আলমের পরিবারের সদস্যদের কারাগারে তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কারাগারে মি: আলমের সাথে দেখা করার পর তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ তার স্বামীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। "শহিদুলের কয়েকটি সমস্যা হচ্ছে, যেগুলো আগে কখনও ছিল না। চেস্ট কনজেশন মানে খুব কাশি হচ্ছে এবং ব্যথা। আরেকটা হচ্ছে, তার দাঁতের মাড়িগুলোতে ভীষণ ব্যথা হয়েছে। এছাড়া চোখেও সমস্যা হয়েছে। আজ দেখলাম, কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।" "কিন্তু ওর সমস্যা শুনে মনে হয়েছে, ওর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এই চিকিৎসা বড় হাসপাতালগুলোতে সম্ভব। সেজন্য আমরা কারাগারের বাইরের হাসপাতালে তাকে নেয়ার জন্য আবেদন করেছি।" কারা কর্তৃপক্ষের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিদেশে যাবার আগে এখন কেন রান্না শিখছেন মেয়েরা? যে কারাগারে কোন রক্ষী নেই অং সান সূ চির অভিযোগে 'হতাশ' বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: শিক্ষার্থীরা মুক্তি পেলেও মামলা থাকায় শঙ্কা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সব ধরণের কার্যক্রম ও চলাচলে বিধিনিষেধ এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৩শে মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ঈদের আগের দিন গত ১৩ই মে এই সময়সীমা বাড়ানোর আভাস দেয়া হলেও রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল। লকডাউন চলাকালে পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এবারে নতুন করে দুটি শর্ত যোগ করা হয়েছে। সেগুলো হল: লকডাউনে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সব দফতর ও সংস্থা জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত হবে। সেইসঙ্গে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করা যাবে না, শুধু বাইরে নিয়ে খাবার জন্য এবং অনলাইনে খাদ্য বিক্রয় করতে পারবে। । এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। চলতি বছর মার্চের শেষের দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য সরকার প্রথম বিধিনিষেধ জারি করে। সে সময় গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় যা পরের আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ই এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরেক দফা বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। পরে সেটি ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এবং আরেক দফায় ৫ই মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদের ছুটিতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধের সময়সীমা আবার বাড়িয়ে ১৬মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। সবশেষ বিধিনিষেধে একই জেলার মধ্যে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমোদন দেয়া হলেও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ রাখা হয়। শুরুতে শপিংমল বন্ধ রাখা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। খোলা রাখা হয় ব্যাংকও। এবারের প্রজ্ঞাপনে আগের সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগের প্রজ্ঞাপনের শর্তগুলো হল: ১. সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। ২. দোকানপাট/শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সব দোকানপাট-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট শপিং মল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩. এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ দূরপাল্লার বাস, সেইসঙ্গে ট্রেন, লঞ্চের চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে। ৪. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। ৬. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাসমূহে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আরও পড়তে পারেন:
লকডাউনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রোগীদের জন্য সুরক্ষা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক দিবস আজ। বাংলাদেশে রোগীদের সুরক্ষায় খুব বেশি না হলেও অল্প কিছু ব্যবস্থা রয়েছে। চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। জানলেও সেই সংস্থার উপর আস্থা রাখতে পারেন না অনেকেই। অভিযোগ নিয়ে কোথায় যাবেন? বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বা বিএমডিসি একটি সরকারি সংস্থা। এখানে যারা কর্মরত রয়েছেন তারা সবাই চিকিৎসক। সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডাঃ মোহাম্মদ আরমান হোসেন বলছেন কিভাবে বিএমডিসিতে চিকিৎসকের বা স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের অবহেলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করা যায়। * যে হাসপাতাল বা চিকিৎসক সম্পর্কে অভিযোগ, সেখানে যে সেবা নিয়েছেন তার সকল কাগজপত্র, চিকিৎসক, প্রতিষ্ঠানের নাম, চিকিৎসার তারিখ, সময় সহ সে কেন মনে করছে অবহেলা হয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা সহ বিএমডিসির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগকারীর সই ও ঠিকানা সহ লিখিত অভিযোগ করতে হবে। * এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে সেই অভিযোগের কপি পাঠানো হবে। তাকে কাউন্সিলের কাছে জবাব দিতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হবে। * সেই বক্তব্য পাওয়ার পর বিএমডিসি অভিযোগকারীকে সেটি জানাবে। * তার সেই বক্তব্যে আপত্তি থাকলে তিনি সেটি গ্রহণ না করার অধিকার রাখেন। * অভিযোগ তখন একটি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে যাবে । কমিটি যদি মনে করে এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন তাহলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারা দরকারে হাসপাতালে যাবে এবং প্রতিবেদন জমা দেবে। বিএমডিসিতে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কিন্তু বাস্তবতা হল এই সংস্থা সম্পর্কে জানেন না প্রায় কেউই। হাসপাতালগুলো থেকে সেই বিষয়ে জানানো হয় না। তাই সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রায়শই তার ক্ষোভ হাসপাতাল বা ক্লিনিকেই প্রকাশ করে ফেলেন। যার ফল হল প্রায়শই ভাঙচুর বা চিকিৎসককে মারধোর। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বিএমডিসির রাজধানী ঢাকায় কার্যালয় মাত্র একটি। আর সেখানে কেউ অভিযোগ নিয়ে গেলেও তাতে অনেক সময় লেগে যায় বা পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তৈরি হয়। কন্যাসন্তান হারানো এক বাবা যেভাবে এখনো লড়ছেন গত বছরের জুলাই মাসে চিকিৎসকদের অবহেলায় চট্টগ্রামে আড়াই বছর বয়সী একটি কন্যা শিশু মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিলো। সেখানকার সিনিয়র সাংবাদিক রুবেল খান তার কন্যাসন্তান রাইফাকে হারিয়েছিলেন। রুবেল খান বলছেন, "গলায় ব্যথা আর ঠাণ্ডার সমস্যা নিয়ে রাইফাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পরদিন রাতেই সে মারা যায়।" তিনি বলছেন চিকিৎসকরা তাকে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার পর থেকেই মেয়েটি দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। চিকিৎসকদের সেটি জানানোর পরও তারা সেটি দেয়া অব্যাহত রাখেন। আরো পড়ুন: চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে কী প্রতিকার আছে? বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসায় ক্ষুব্ধ ব্যক্তি যাবেন কোথায় পরদিন রাতের এক পর্যায়ে তাকে একটি সাপোজিটর দেয়া হলে তার খিঁচুনি ওঠে। সেসময় কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। সাংবাদিক হওয়ায় হয়ত তিনি দ্রুতই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছিলেন। বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিএমডিসিকে তদন্তের আদেশ দেয়। রুবেল খান বলছেন তিনি কোন সমাধান পাননি। অনেকে অভিযোগ নিয়ে যেতেও চান না। তিনি বলছেন, "বিএমডিসি থেকে কয়েকজন চট্টগ্রামে এসে আমাকে সেই হাসপাতালে ডেকে পাঠান। আমার জন্য সেখানে আবার ফিরে যাওয়া খুব আবেগের বিষয় ছিল। এটা তো কোন সালিশি নয়। আমি তাদের বাসায় আসতে বললে তারা আমাকে একটা রেস্টুরেন্টে আসতে বলে। আমি এমন একটা বিষয়ে কথা বলতে রেস্টুরেন্টের মতো জায়গায় যেতে রাজি হইনি।" মি. খান বলছেন, "ফলে তারা চট্টগ্রামে এসেও আমার সাথে কথা না বলেই ঢাকা ফিরে যান এবং প্রতিবেদনে লেখেন যে বাবার সাথে কথা বলা যায়নি। আমার বক্তব্য না নিয়েই তারা একপেশে প্রতিবেদন দিয়েছেন।" রুবেল খান এখন সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। আদালত বিএমডিসিকে বিষয়টি নতুন করে তদন্তের আদেশ দিয়েছে। বিএমডিসিতে অভিযোগ নিয়ে যান না অনেকে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মান-নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন শামীম আরা নীপা। সিলেটে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর তার দুটি হাতেই অস্ত্রোপচারের দরকার হয়। অভিযোগের বিচার পাবেন কীনা সে নিয়েও আস্থা নেই। শুরুতে সিলেটে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে চলে আসেন। তিনি বলছেন, "একটা মারাত্মক অবহেলার শিকার হয়েছি আমি। আমার ডায়াবেটিস আছে। আমার দুই হাতে ব্যান্ডেজ। আমি দুর্ঘটনার রোগী। এই অবস্থায় আমাকে নার্সরা ইনসুলিন নিতে বা অন্য কিছু লাগলে তাদের ওখানে ডেকে পাঠাতো। অনেকদূর হেঁটে আমাকে সেগুলো নিয়ে আসতে হতো। তার প্রতিবাদ করলে আমাকে বলা হয়েছে আপনি এত কথা বলেন কেন?" শামীম আরা নীপা বলছেন, সেসময় কোথাও অভিযোগ করা যায় কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি অবশ্য বলছেন, অভিযোগ করলে তাতে কোন বিচার হবে বলে তার আস্থাও নেই। তিনি মনে করেন, "যেহেতু ওটা ডাক্তারদের প্রতিষ্ঠান। তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করবে বলে আমি মনে করি না।" আস্থা আনতে যা করা হচ্ছে বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডাঃ মোহাম্মদ আরমান হোসেন বলছেন, "যে কথাটা বলেছেন তিনি সেটি যে একেবারে অযৌক্তিক তা নয়। আমরা চেষ্টা করছি তদন্ত কমিটিতে চিকিৎসক ছাড়াও অন্য কোন পেশার কাউকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা যায় কিনা।" ঢাকার বাইরেও কীভাবে অভিযোগ করা যায় সে নিয়েও তারা ভাবছেন তারা কী করতে পারেন। চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগে রোগীর আত্মীয়রা প্রায়ই ভাঙচুর করেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাংলাদেশে ২০১৬ সালে "রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন" নামে একটি আইন প্রস্তাব করে সরকার। কিন্তু এই আইনটি এখনো পাশ হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন," এটির খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছিলো। মন্ত্রিসভা কিছু প্রশ্ন পাঠায়। সেগুলো সংযুক্ত করে আবারো মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে।" কিন্তু অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসকদের আপত্তির কারণেই তা এখনো পাশ করা সম্ভব হয়নি। আইনটির খসড়া প্রকাশিত হয় যখন, সেই সময় থেকেই এর সমালোচনা শুরু হয়েছে এই নিয়ে যে এতে রোগী নয় বরং চিকিৎসকদের সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দেয়া হয়েছে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রোগীর আত্মীয়দের সাথে চিকিৎসকদের নানা সময়ে যে বিবাদ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে সেই বিষয়টি নজর পেয়েছে বেশি। কী আছে প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ করে দুটি বিষয় নিয়ে আপত্তি উঠেছে। আর তা হল চিকিৎসকের ভুলের অভিযোগ উঠলে চিকিৎসক বা অন্য সেবা-দানকারীদের সাথে সাথে গ্রেপ্তার করা যাবে না। অন্যদিকে কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য সেবা-দানকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ করলে এবং প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করলে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হবে বলে গণ্য হবে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিয়ে আইনটিতে বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে। অন্যান্য খবর: গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে বহিষ্কার নিয়ে তোলপাড় চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড বাংলাদেশে ছাত্র সংগঠনগুলোর আয়ের উৎস কী?
চিকিৎসায় অবহেলা: যেভাবে অভিযোগ করবেন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশে প্রতি বছরই নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রিয়াজউল হক বলছিলেন, লোকাল একটা বাসে একজন তৈরি পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি বলছিলেন এই বাসের কোন নাম নেই, এটা লোকাল বাস এবং শ্রমিকরা এতে যাওয়া-আসার কাজ করে। মি.হক বলছিলেন রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঐ বাসে বাসের চালক, হেলপার এবং তাদের সাথে আরো তিনজন ছিল। তারা ধর্ষণ করে ঐ গার্মেন্ট শ্রমিককে। পুলিশ বলছে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলাটি করেছে। মেয়েটি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। বাংলাদেশে এর আগেও চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের অগাস্টে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসের মধ্যে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে লাশ ফেলে দেয়। বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ঐ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। পুলিশ বলছে, টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক তরুণীর মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। তাঁর আত্মীয়-স্বজন ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করার পর তরুণীটিকে বাসের মধ্যে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যার এই ঘটনা ফাঁস হয়। সেই ঘটনার ছয় মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন হয় যেটা বাংলাদেশে বিরল। ঐ ঘটনায় পাঁচ আসামীর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড আর একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এ টাকা এবং যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে সে বাসটি আদালতের আয়ত্তে নিয়ে রূপার পরিবারকে দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত।
চলন্ত বাসে আবার ধর্ষণ ঢাকার ধামরাইয়ে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সাংবাদিক আনিস আলমগীর রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২শে জানুয়ারি দেবী সরস্বতী সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'অশালীন মন্তব্য' করেন মি. আলমগীর। এর মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বহু মামলা করা হলেও হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করার ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না। ইস্পাতের মতো শক্ত ঘাস বিন্না নিয়ে গবেষণা, মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলার রোগ ট্রিকোটিলোম্যানিয়া আরো পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দুটো যমজ হাতির বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় তিনি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, "হিন্দু ধর্মে বিদ্যার দেবী সরস্বতী সম্পর্কে কটূক্তি করার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।" ব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুকে আনিস আলমগীরের স্ট্যাটাস ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটিকে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ারী থানার পুলিশকে বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আদেশ দিয়েছেন। মামলার আসামী আনিস আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, "দেবী সরস্বতীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাতেও যারা আহত হয়েছেন আমি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।" আরো পড়ুন: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আট মাসের এক শিশু ধর্ষণ: 'যৌনাঙ্গে আঘাত ভয়াবহ' "এই ঘটনার পর আমি আমার ভুলের কথা স্বীকার করে তিন তিনবার দুঃখ প্রকাশ করেছি। সারা জীবন আমি মানবতার পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। তারপরেও আমার একটি ভুলকে ইস্যু বানিয়ে মামলা করা হয়েছে," বলেন মি. আলমগীর। ফেসবুকে মি. আলমগীরের স্ট্যাটাসের পর এনিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তিনি স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে মুছে দেন এবং পরে তার ব্যাখ্যা দিয়ে আরো দুটো স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আনিস আলমগীর বলেছেন, "মামলা যখন হয়েছে তখন আর কি করা। আদালতের কাছে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরবো।"
হিন্দু দেবীর নামে 'কটূক্তি ও অশালীন' মন্তব্য করার অভিযোগে বাংলাদেশে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইরানের এক সামরিক প্রদর্শনীতে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল। জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরানের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি এমনিতেই খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ইরানের এই ঘোষণার পর এই চুক্তি ভেঙ্গে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন, ইরান কি তাহলে এখন পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে হাত দিতে চলেছে? যদি তারা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুরোদমে পরমাণু কর্মসূচি চালাতে থাকে, তাহলে কত দ্রুত তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে? ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, সেজন্যেই তাদের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো। প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় একটি 'বাজে চুক্তি' বলে বর্ণনা করে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে এখনো এই চুক্তির গুরুত্ব আছে। এই পরমাণু চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক তদারকিতে রাখা। ইরান দাবি করে যে তারা শান্তিপূর্ণ কাজেই তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করতে চায়। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের শংকা আরও বাড়ছে কিন্তু পরমাণু চুক্তিটির সবচেয়ে বড় গুরুত্ব ছিল- এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের শঙ্কা দূর করেছিল। এই চুক্তির আগে এমন আশংকা ছিল যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোর নামে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যখন এই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে গেল, তারপর থেকে ইরান ক্রমাগত এই চুক্তিতে আরোপ করা কিছু বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে চলেছে। কিন্তু জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ইরান এখন মনে হচ্ছে সব বিধিনিষেধই উপেক্ষা করবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান এখন তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে কোন দিকে নিয়ে যাবে? যেমন ধরা যাক, তারা কি ইউরেনিয়াম পরিশোধন ২০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাবে? ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা বাড়িয়ে পরমাণু অস্ত্রের উপকরণ পেতে ইরানের সময় লাগবে বড়জোর একবছর পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইরান যদি এখন সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, তাহলে বোমা তৈরির উপকরণ পেতে তাদের অনেক কম সময় লাগবে। কিন্তু ইরান কি এই সময়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তদারকির বর্তমান ব্যবস্থা মেনে চলবে? অন্যান্য খবর: সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি অস্ট্রেলিয়ায় স্বস্তির বৃষ্টি, কিন্তু আগুন নেভবার আশ্বাস নেই ব্যস্ত রাস্তা থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যা করতে চেয়েছিল, মনে হচ্ছে তারা সেই জায়গায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু বিশ্বের অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিল। একই সঙ্গে ইরান যে চুক্তিটি মেনে চলছে না, তা নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে ইরানের ক্ষমতাধর একজন জেনারেলকে হত্যার সিদ্ধান্ত দিলেন, সেটি তাদের স্তম্ভিত করেছে। এই ঘটনা এখন ইরান আর যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। কত দ্রুত ইরান বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরান যদিও সবসময় বলে এসেছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজের জন্য, তারপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে সংশয় ছিল। জাপানে প্রথম যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই 'লিটল বয়' নামের বোমার রেপ্লিকা। ২০১০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয় পরমাণু চুক্তির পর। চুক্তিটিতে বলা হয়েছিল, ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং পরমাণু জ্বালানি- উভয় ক্ষেত্রেই পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের দরকার হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে 'হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর' নতুন করে তৈরি করতে হয়। পরমাণু বোমার আরেকটি উপাদান প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায় এই রিয়েক্টরে ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা চুক্তি অনুযায়ী এই রিয়েক্টর নিয়মিত পরিদর্শন করার কথা। ২০১৫ সালের আগে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের বিরাট মওজুদ ছিল ইরানে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, প্রায় বিশ হাজার সেন্ট্রিফিউজেস ছিল তাদের। দশটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট এগুলো। ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ইউরেনিয়াম পরিশোধন আবার শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সেসময় মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ইরান যদি খুব তাড়াহুড়ো করে কোন পরমাণু বোমা বানাতে চায়, তাদের সময় লাগতে পারে দুই হতে তিন মাস। তবে এখন যেহেতু আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক সীমিত, তাই বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও ইরানের সময় লাগবে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে এক বছর। তবে ইরান যদি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করে, তাহলে ছয় মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে এটি করা সম্ভব। পরমাণু চুক্তির অন্য দেশগুলো অবশ্য এখনো আশা করছে ইরান ঐ পথে যাবে না। রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চুক্তি-বিরোধী কিছু না করার জন্য।
ইরানের পক্ষে কত দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরি করা সম্ভব?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গুলিবিদ্ধ মমতাজ বেগম (৪৮) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা খুলনার ফুলবাড়িতে পুলিশ লাইনের পাশের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। গুলিবিদ্ধ নারীর নাম মমতাজ বেগম, যদিও তিনি এখনো জানেননা যে কে তাকে গুলি করেছে বা তার শরীরে কিভাবে কোন দিক থেকে এসে এটি বিদ্ধ হলো। তার ছেলে শেখ জুয়েল হোসেনের দাবি পুলিশ লাইনের পাশে মসজিদের কাছে একটি হোটেলে নাস্তা করে বের হবার সময় তার মা গুলিবিদ্ধ হন। তবে খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ঘটনার সময় ওই নারী মসজিদের সামনে ভিক্ষা করছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন যে গুলিটি পুলিশ লাইনের দিক থেকে আসে। এরপর ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ৪৮ বছর বয়সী ওই নারী। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনা ৩০শে নভেম্বর মমতাজ বেগমের ছেলে শেখ জুয়েল হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, যশোর-হাইওয়ে রোড সংলগ্ন (আর আর এফ) পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার এলাকায় মসজিদের কাছে হোটেলে নাস্তা করছিলেন তার মা মমতাজ বেগম। "নাস্তা করে হোটেল থেকে বের হবার সময় হঠাৎ তিনি পড়ে যান ও বুকে রক্ত দেখা যায়। পরে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান যে তার বুকে গুলি লেগেছে"। মিস্টার হোসেন ডাক্তারদের বরাত দিয়ে বলেন বুলেটটি পেটের বাম পাশে এবং সেটি অপারেশন করে সরাতে হবে। কিন্তু এখনো সেটি করা হয়নি। খুলনায় হঠাৎ গুলিতে আহত এক নারী এরইমধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার দিন ঢাকায় চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন মিস্টার জুয়েল। কিন্তু সেটি অসমাপ্ত রেখেই বাড়িতে ফিরতে হয় তাঁকে। ঘটনার পর হাসপাতালে মমতাজ বেগমকে দেখতে যান খুলনার খান জাহান আলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কয়েকজন। সেসময় তাকে পর্যাপ্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরে সেটি তারা পুলিশের কাছ থেকে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন শেখ জুয়েল। পুলিশ কী বলছে? খানা জাহান আলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ওই নারী মসজিদের সামনে ভিক্ষার জন্য আরও ভিক্ষুকের সাথে অবস্থান করছিলো। "নামাজ শেষে ভিক্ষা পাওয়ার আশায় সেখানে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ বুকে ব্যথা পেয়ে পড়ে গেলে অন্য ভিক্ষুকসহ স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেন। এরপর জানা যায় যে তার শরীরে গুলি লেগেছে"। মিস্টার ইসলাম বলেন খবর পেয়ে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে গিয়েছেন এবং ওই নারীর সাথে কথা বলেছেন। "চিকিৎসকরা বলছেন গুলিটি না বের করলেও সমস্যা হবেনা কারণ সেটি পেটে ঢোকেনি। তার কোনো ক্ষতি হবেনা। তবে আমরা তাদের বলেছি যে গুলি বের করতে। তবে এজন্য যেই মেশিন দরকার সেটি নষ্ট থাকায় তারা সেটি পারছেনা। মেশিনটি ঠিক হলেই আবার তাকে হাসপাতালে এনে গুলি বের করা হবে"। গুলিটি এলো কোথা থেকে ? পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলছেন গুলি এসেছে কোথা থেকে তা তারাও এখনো নিশ্চিত নন। "তবে পাশেই পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ফায়ারিং চলছিলো। সেখান থেকে এসেছে কি-না সেটি তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে"। যদিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তানিম হাসান বলছেন পুলিশ লাইনের দিক থেকেই এসেছিলো গুলিটি। তার মতে সে কারণেই পরে পুলিশ কর্মকর্তারা অনেকেই হাসপাতালে গেছেন ও ওই নারীর সাথে কথাও বলেছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঘুমিয়ে থাকা ১৩ শ্রমিক নিহত: ঘটনা ঘটলো যেভাবে মালয়েশিয়ায় নতুন রাজা নির্বাচিত হলেন কিভাবে? এবারে একটিই বিশ্ব ইজতেমা, শুরু ১৫ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে তুলকালাম ঘটলো কী নিয়ে?
খুলনায় পুলিশ লাইনের কাছে ভিক্ষা করার সময় নারীর বুকে হঠাৎ গুলি ও তারপর
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ফেসবুক ব্রিটিশ ব্যবহারকারী কাছে আহ্বান জানিয়েছে তাদের নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য। উদ্দেশ্য প্রতিশোধমূলকভাবে যৌন ছবি পোস্ট ঠেকানো। কারো ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি অন্য কোনও ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে পারে-এমন আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে এটি কাজ করবে। কেননা অনলাইনে ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তা ব্লক করে দেবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। একই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের হয়রানিমূলক ছবি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়াতে এই প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করেছে। এখন তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে এই পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। নিউজবিটকে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখন ব্রিটেনের মানুষদের জন্য বিষয়টি উন্মুক্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে 'ফেসবুক পুলিশ': কিভাবে নজর রাখছে আপনার ওপর কীভাবে এটি কাজ করবে? যদি নিজের কোন ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে একজন ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে ফেসবুকের যে সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে বিচারের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ব্রিটেনে যেমন রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প-লাইনে এজন্য যোগাযোগ করা যাবে। তখন সেখানকার কর্মীরা ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করবে এবং ব্যবহারকারীকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে সেখানে ছবি আপলোডের জন্য। কিন্তু এই নগ্ন ছবি কারা দেখতে পাবে? ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক প্রধান অ্যান্টিগন ডেভিস নিউজবিটকে বলেন, এই ছবি দেখতে পাবে কেবলমাত্র পাঁচজন প্রশিক্ষিত রিভিউয়ার্স নিয়ে গড়া ক্ষুদ্র একটি দল। তারা ছবিটিতে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংযোজন করবে। এরপর সেই কোডটি ডাটাবেজ-এ সংরক্ষণ করা হবে। অন্য কোন ব্যক্তি যদি সেই একই ছবি কোনভাবে আপলোড করার চেষ্টা করে কোডটি তখন শনাক্ত করবে এবং সেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেঞ্জারে প্রকাশ হওয়ার আগেই আটকে দেবে। সত্যিই কি এই পদ্ধতি কার্যকর হবে? ফেসবুকের অ্যান্টিগন ডেভিস স্বীকার করেন যে, "যখন ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তির বিষয় জড়িত তখন ১০০% নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। কারণ ছবিকে বিকৃত করা সম্ভব তাই মূল ছবি থেকে সেগুলো আলাদা হতে পারে। কিন্তু তিনি বলছেন তারা ভালো ফল পাচ্ছেনা। পুরো প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে কাজ করবে যদি যে ছবিটি নিয়ে দুশ্চিন্তা সেটি হাতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কারও সাবেক প্রেমিক/প্রেমিকা ফোনে ছবি তুলে থাকেন এবং সেগুলো যদি তার কাছে না থাকে তাহলে এই প্রক্রিয়া তাকে কোনও কাজে দেবে না। ২০১৫ সালে চালুর পর থেকে ব্রিটেনের রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প-লাইন বছর বছর এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট দেখতে পেয়েছে। চালুর পর ২০১৫ সালে এই হটলাইনে এ ধরনের পাঁচশোর বেশি রিপোর্ট পেয়েছে। আর ২০১৭ সালে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে ১০০০-এর বেশি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'বিমানে সবাই কান্নাকাটি এবং দোয়া পড়তে থাকেন' 'মাদক ব্যবসার চেয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা বড় অপরাধ' বাং
ফেসবুক কেন ব্যবহারকারীদের নগ্ন ছবি চাইছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সড়কটিতে প্রায় দুশো গাছ রয়েছে শতবর্ষী। আইনজীবীরা বলছেন একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে ছয় মাসের জন্য গাছ কাটার ওপর আজ বৃহস্পতিবার এ স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি গাছ কাটার সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করে সরকারের ব্যাখ্যাও চেয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গাছগুলো এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য ওই সড়কের দু পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো স্থানীয় প্রশাসন, এর পরই এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলছিলেন জেলা প্রশাসনের ডাকা সভায় সর্বসম্মতভাবেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গাছ কাটার পর নতুন সড়কের দু পাশে বনায়ন করা হবে। প্রায় দুশো বছর আগে সড়কটি নির্মাণ করে গাছগুলো রোপণ করেছিলেন স্থানীয় জমিদার কালিপদ পোদ্দার। যশোর রোড নামে পরিচিত সড়কটি কোলকাতা থেকে যশোর পর্যন্ত বিস্তৃত। পেট্রাপোল থেকে কোলকাতা পর্যন্ত সড়কও চার লেন হচ্ছে। তবে সেখানেও গাছ কাটার ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় দু কিলোমিটার রাস্তায় চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে গাছগুলো অক্ষত রেখেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ পথেই গিয়েছিলো লাখ লাখ শরনার্থী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এ পথেই দেশ ছেড়েছিলো লক্ষ লক্ষ শরণার্থী, পরে তারা ফিরেও আসেন এ পথেই। বিখ্যাত কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচনা করেছিলেন সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড। পরে তার ভিত্তিতে গান রচিত হয় যা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবান স্মারক হিসেবে বিবেচিত। যশোর শহর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩৮ কি.মি.। এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের প্রকল্পটি পাশ হয় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। এই রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপথের হিসেব অনুযায়ী গাছ রয়েছে ২৩শো ১২টি। এর মধ্যে দুশোর অধিক গাছ রয়েছে যেগুলোর বয়স ১৭০ বছরের বেশি। গাছ গুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক ঘটনা এবং স্থানীয় মানুষের আবেগ বিজড়িত স্মৃতি। তাই গাছগুলো একেবারে কেটে নিশ্চিহ্ন করে রাস্তা সম্প্রসারণের বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছিলোনা। আরও পড়ুন যশোর রোডের শতবর্ষী গাছগুলো কি বাঁচানো যাবে? ভারতে যশোর রোডের গাছ টিকেছে আদালতের রায়ে
বাংলাদেশে বিখ্যাত যশোর রোডের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো আদালত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
আসামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (বামে) নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিনেই আরও বলেছেন, তাদের লক্ষ্য হল আসামের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যাদের নাম এনআরসি-তে উঠেছে তাদের অন্তত কুড়ি শতাংশ নাম রিভেরিফাই করা বা নতুন করে যাচাই-বাছাই করা। আসামের এই জেলাগুলো সবই মুসলিম-অধ্যুষিত। এছাড়া রাজ্যে সীমান্তবর্তী নয়, এমন জেলাগুলোতেও তালিকায় ওঠা অন্তত দশ শতাংশ নাম নতুন করে পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে আসাম সরকার। এনআরসি-তে নাম উঠেছে কি না, তা দেখতে আসামের মোরিগাঁওতে মানুষের লাইন আরো পড়তে পারেন: প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১শে আগস্ট এনআরসি-র যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল তাতে আসামের বাসিন্দা অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ে। আশঙ্কা দেখা দেয়, এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘রাষ্ট্রহীন’ নাগরিকে পরিণত হবেন। তবে তখন স্থানীয় ও জাতীয় স্তরের গণমাধ্যমে এটাও রিপোর্ট করা হয়েছিল যে বাদ-পড়া এই এই ১৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই হিন্দু, তাদের তুলনায় মুসলিমদের সংখ্যা অনেক কম। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। যে কোনও কারণেই হোক, আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপি এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকাকে ওই আকারে মেনে নিতে চায়নি। এনআরসি-র কট্টর সমর্থক হিমন্ত আসামে নির্বাচনের সময় হিমন্ত বিশ্বশর্মার রোড শো এনআরসি-র দাবিতে আগাগোড়া সোচ্চার হিন্দুত্ববাদী ওই শক্তিটি তখন থেকেই প্রকাশিত এনআরসি-তে ‘সংশোধন’ আনার দাবি জানিয়ে আসছে। আসামে নতুন করে এনআরসি প্রক্রিয়া আবার চালু করার দাবিতে বিজেপির যে নেতা বরাবর সবচেয়ে সরব ছিলেন, তিনি হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর এখন তিনিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোওয়াল আসামের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর ক্যাবিনেটে সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্যের নাম ছিল হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কোভিড মহামারি থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্যাপারেই মুখ্যমন্ত্রীরও আগে মুখ খুলতে দেখা যেত মি. বিশ্বশর্মাকে। বস্তুত রাজ্য পরিচালনার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে তখনকার অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাই ছিলেন কার্যত শেষ কথা। শুধু আসামেই নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকি রাজ্যগুলোতেও বিজেপির প্রভাব বিস্তারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে, যে কাজ তিনি সফলভাবে সামলেছেন। ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ বা মেঘালয়ে বিজেপি বা তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠনেও বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। এ কারণেই যদিও কোনও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি রাজ্য ধরে রাখতে পারলে সচরাচর নেতৃত্বে বদল করা হয় না, আসামের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম করা হল। সর্বানন্দ সোনোওয়ালকে সরিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বটেই, সায় দিযেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। শপথ গ্রহণের ঠিক পর পরই তাঁকে টুইটারে অভিনন্দনও জানিয়েছেন মি. মোদী। গোড়া থেকে আবার শুরু এনআরসি? এহেন মি. বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসার পর রাজ্যে নতুন করে এনআরসি চালু করার প্রয়াস গতি পাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আসামের শিলচরে অধ্যাপক ও ভাষ্যকার জয়দীপ বিশ্বাস বিবিসিকে বলছিলেন, ‘’আসলে বিজেপি চায় এনআরসি নিয়ে একটা ‘ডি নোভো এক্সারসাইজ’, অর্থাৎ একেবারে গোড়া থেকে একেবারে সব কেঁচে গন্ডূষ করতে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা যে সেটাই করতে চাইবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।‘’ নতুন করে এনআরসি অভিযান শুরু করার জন্য আসাম সরকারের পিটিশন এই মুহুর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন আছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার এই ব্যাপারে শীর্ষ আদালতকে তাগাদা দিতে শুরু করবে বলেও অধ্যাপক বিশ্বাস মনে করছেন। ‘’আসামে যে বিজেপি জোট আবার জিতে ক্ষমতায় এলো, এটাকে এনআরসি নিয়ে তারা তাদের অবস্থানের এনডোর্সমেন্ট বলেই মনে করছে।'' ''মানুষের রায় পাওয়া গেছে, অতএব বিজেপি আবার যে এনআরসি নিয়ে ঝাঁপাবে তা তো বোঝাই যাচ্ছে’’, বলছিলেন জয়দীপ বিশ্বাস। আসামের নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রকাশিত ইশতেহারেও বলা হয়েছিল, তারা রাজ্যে ‘রিভাইজড’ বা ‘সংশোধিত’ এনআরসি আনতে চায়। সেই ইশতেহার প্রণয়নেরও প্রধান রূপকার ছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা, যিনি আজ মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন। আসামে নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়েই যিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন – যতই এনআরসি-র ‘চূড়ান্ত তালিকা’ প্রকাশিত হোক, সেটা তাদের কাছে কোনও ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’ নয়। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
আসামে বিজেপির নতুন মুখ্যমন্ত্রী, এনআরসি-ও কি নতুন করে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
রোজার মাসের জন্য ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিপ্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। (ফাইল ফটো) কিন্তু রোজার মাস আসতে না আসতেই মাংসের দাম বাড়ছে কেন? সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসার পথে সরকারি নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বহু গুণ বেশি খাজনা ইজারাদারেরা অবৈধভাবে আদায় করছে বলেই মূলত গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বলে জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। মি আলম বলেন, "গত তিন বছরে বাংলাদেশে মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।" "চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তাহলে কেজি প্রতি ৩০০ টাকায়ও মাংস বিক্রি করা সম্ভব।" আরো পড়তে পারেন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন কেন শীর্ষ তালিকায় নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় যে কারণে ২০ দলীয় জোট ছাড়লো বিজেপি গত তিন বছরে বাংলাদেশে মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ চাঁদাবাজি? পশুর ওপর সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করা গোষ্ঠীকে ঠেকাতে না পারার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করলেও রবিউল আলম মনে করেন, মূলত "সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার অভাবেই" বন্ধ করা যাচ্ছে না চাঁদাবাজি। "কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখানে কোটি কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত, তাই আন্তরিকতার অভাব আর কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছ না।" মি আলম ধারণা করছেন, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইজারাদাররা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না হলেও তাদের সহযোগিতায় রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা থাকতে পারেন। গাবতলী গরুর হাট কর্তৃপক্ষের সরকারি অফিস অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আরেকটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন মি. আলম। "গাবতলী গরুর হাট ইজারা নেওয়ার শর্ত হলো, প্রতিটি গরুর সরকার নির্ধারিত খাজনা হবে ১০০ টাকা। কিন্তু এই শর্ত না মেনে ইজারাদাররা অবৈধভাবে গরু প্রতি চার বা পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করে থাকেন," অভিযোগ করেন তিনি। "এভাবে একটি গরু শহরের ভেতরে তিনটি হাটে স্থানান্তরিত হলেই গরুর দাম বেড়ে যায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে মাংসের দামের ওপর।" গাবতলী হাটের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা আদায় বাস্তবায়িত হলে অতি সত্ত্বর মাংসের দাম কমে আসবে বলে জানান মি. আলম। "যদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনা গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আগামীকাল থেকেই কেজি প্রতি মাংসের দাম ৭০ তেকে ৭৫ টাকা কমে আসবে।"
রোজার সময় গরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না কেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আগে কি বোঝা যায়? বিবিসিকে তিনি বলেন, "যখন আপনি একটা আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষেন করছেন, তখন বড় কিংবা ছোট - সব অগ্ন্যুৎপাতের সংকেত একই রকম হবে"। "এখানে আপনাকে দুটি বিষয়ের ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতে হবে। একটা হল অগ্ন্যুৎপাতের সময় এবং আকার। আর এটা একই সময় করা বেশ কঠিন," বলছিলেন তিনি। একটা আগ্নেয়গিরির হাজার বছরের ইতিহাস থাকতে পারে গুয়েতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারানোর পর প্রশ্ন উঠছে কী মাত্রায় অগ্ন্যুৎপাত হবে, সেটা ধারণা করা আদৌ সম্ভব কি-না? মি. ক্লেমেত্তি বলছেন, এটা সাধারণত একটা বড় মাত্রার অগ্ন্যুৎপাত। তাই আগের উদাহরণের উপর ভিত্তি করে হলেও বিশেষজ্ঞদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলতে পারা। বিপদ চিহ্নিত করা: বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন কোন আগ্নেয়গিরিটা বেশি বিপজ্জনক? আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। ঘন লাভা খুব বেশি দুর গড়ায় না কিন্তু ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগে কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে করা হতো যে হাওয়াইয়ের কিলাওয়ে আগ্নেয়গিরি সবচেয়ে জীবন্ত। কিন্তু সবচেয়ে বিপদজনক বলতে যা বোঝায়, সেটা আবার না। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ইতিহাস: একটা আগ্নেয়গিরির হাজার বছরের ইতিহাস থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে কিভাবে এটা ফিরে আসবে, তার কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। জীবন্ত আগ্নেয়গিরির কাছের জনজীবন সব সময় ঝুঁকির কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পর্যবেক্ষণ: যদিও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস পাওয়া নির্ভুলভাবে পাওয়া কঠিন, কিন্তু কিছু আস্থা-রাখার মত সংকেত আছে যেটা অ্যালার্ম বাজায়। যদি কোন এলাকার মানুষ সঠিক সংকেতটি বুঝতে পারে তাহলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটা সুযোগ পায় খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই প্রস্তুতি নেয়ার। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস কি ফ্যাসিবাদী সংগঠন? হিন্দুত্ববাদীদের সহিষ্ণুতার বাণী শোনালেন প্রণব মুখার্জী? ইমরান সরকারের প্রতি সরকারের কেন এই আচরণ?
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সম্পর্কে কি আগেই ধারণা করা যায়?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত পুরাতন বিমান বন্দরে এনিয়ে বিপুল আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৯ই মার্চ পর্যন্ত 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা করেছে সরকার। ১৭ই মার্চ থেকে 'মুজিব বর্ষ' উদযাপন শুরু হলেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে ক্ষণগণনা। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এর আগে পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। যেহেতু এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসেন সেজন্য তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগনণাও শুরু হচ্ছে আজ থেকে। শুক্রবার বিকেল তিনটায় তেজগাঁও এলাকার পুরাতন বিমান বন্দরে অতিথিরা আসবেন। বিকলে ৪:৩০মিনিটে শেখ হাসিনা যাবেন অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর সেখানে একটি প্রতীকী বিমান অবরতণ করবে। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি শেখ মুজিবকে বহনকারী বিমান এখানেই অবতরণ করেছিল। সেজন্যই প্রতীকী বিমান অবতরণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। ৪৮ বছর আগে বিমান থেকে নামার পর শেখ মুজিবুর রহমানকে যেভাবে বরণ করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় প্রতীকী গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এছাড়া বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ এবং তোপধ্বনিও দেয়া হবে। সরকার ঘোষিত 'মুজিব বর্ষের' ক্ষণগণনা উপলক্ষে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পুরাতন বিমানবন্দরে উপস্থিত হবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। এরই মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিরা অনলাইনে নিবন্ধনও করেছেন। ক্ষণ গণনার জন্য দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি স্থানে এবং প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলায় ঘড়ি বসানো হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ৮০টির বেশি স্থানে ক্ষণ গণনার ঘড়ি বসানো হবে।
মুজিব জন্মশত বার্ষিকী: ক্ষণগণনায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে আজ যা থাকবে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
চলতি মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু প্রায় ৫০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চলতি মাসে এনিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু প্রায় ৫০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরের এ সময়টিতে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক আছে। ‘বজ্রপাত কেড়ে নিচ্ছে গ্রামের কর্মঠ পুরুষদের’ বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে বাংলাদেশে দশ লাখ তালগাছ বজ্রপাত বাড়ার কারণ কী? অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন বিজ্ঞানীরা অনেকে মনে করেন বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এটা বেশি হচ্ছে তবে অনেক বিজ্ঞানীই আবার এ মতের সাথে একমত নন। "তবে বাংলাদেশে আমরাও ভাবছি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রা বেড়েছে এবং এর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে দশমিক ৭৪ শতাংশ তাপমাত্রা বেড়েছে"। বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাত বিকেলে বেশি হয় কেনো? তাওহিদা রশিদের মতে বজ্রপাতের ধরণই এমন। সকালের দিকে প্রচণ্ড তাপমাত্রা হয়। আর তখন এটি অনেক জলীয় বাষ্প তৈরি করে। এ জলীয় বাষ্পই বজ্র ঝড় ও বজ্রপাতের প্রধান শক্তি। তাপমাত্রা যত বাড়বে তখন জলীয় বাষ্প বা এ ধরণের শক্তিও তত বাড়বে। তিনি বলেন, "জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়া মানেই হলো ঝড়ের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া। বছরে এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ১২শতাংশ বজ্র ঝড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এটি কোন কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন"। প্রাণহানি এড়ানোর উপায় কী? তাওহিদা রশিদ বলেন বজ্রপাত প্রকৃতির একটি বিষয় এবং এটি হবেই। তবে এতে প্রাণহানি কমানোর সুযোগ আছে। "বজ্র ঝড় যখন শুরু হয় এর তিনটি ধাপ আছে। প্রথম থাপে বিদ্যুৎ চমকানি বা বজ্রপাত শুরু হয়না। প্রথমে মেঘটা তৈরি হতে থাকে এবং সে সময় আকাশের অবস্থা খুব ঘন কালো হয়না। একটু কালো মেঘের মতো তৈরি হয় । সামান্য বৃষ্টি ও হালকা বিদ্যুৎ চমকায়। আর তখনি মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত"। তিনি বলেন প্রতিটি দুর্যোগে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে এবং সে সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করা উচিত। "বাইরে থাকলে যখন দেখা যাবে আকাশ কালো হয়ে আসছে তখনি নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে। এ সময়টিতে অন্তত আধঘণ্টা সময় পাওয়া যায়"? বজ্রপাত ঠেকাতে উঁচু তালগাছকে খুবই কার্যকর বলে বিবেচনা করা হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট এলাকায় বর্জপাত বেশি হয়? তাওহিদা রশিদ বলেন অঞ্চল ভেদে এটি কম বেশি হচ্ছে। বজ্রঝড় ও বজ্রপাত এপ্রিল ও মে মাসের কিছু সময় ধরে প্রতি বছরই হয়। এ বছর কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তার মতে বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেশি। "কারণ ওখানে হাওড়ের জন্য জলীয় বাষ্প বেশি হয়। সে কারণেই সিলেটের ওই অঞ্চলটিতে বর্জপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি"। বজ্রপাত ঠেকাতে গাছ লাগানো উচিত কোথায়? অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলেন তালগাছের মতো গাছগুলো রোপণ করা উচিত খোলা মাঠে, তাহলেই এটি বেশি কাজে দেবে। "কিন্তু কিছু প্রকল্পের অধীনে সেগুলো লাগানো হচ্ছে রাস্তার পার্শ্বে। এর ফলে বর্জপাত মানুষ বা গাড়ির ওপরই পড়বে"। তিনি বলেন ঘন বনও বর্জপাতের জন্য ভালো, কারণ এটি তাপমাত্রাও কমায়। গ্রামে ছোট ছোট গাছের ঝোপ থাকলে লোকজন সেখানেও আশ্রয় নিতে পারে।
বাংলাদেশে বজ্রপাত কখন কোথায় বেশি হচ্ছে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ম্যাকেঞ্জি বেজোস এ সপ্তাহেও সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে। অনলাইনে পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি তাদের ডিভোর্সের কিছু শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ম্যাকেঞ্জি বেজোস পাবেন আমাজনের ৪% সম্পদ। ফলে তার অর্থ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। সেই হিসেবে তিনি হবেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী নারী এবং নারী পুরুষ মিলিয়ে ২৪তম ধনী ব্যক্তি। তাহলে বিশ্বের ধনী নারীদের তালিকায় কারা কারা আছেন এবং কীভাবে তারা এতো অর্থ বিত্তের মালিক হলেন? ১. ফ্রাঁসোয়াস বেটাকোর মেয়ার ফ্রাঁসোয়াস বেটাকোর মেয়ার তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেব অনুসারে তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার ১৫ নম্বরে। ফরাসী কসমেটিক কোম্পানি ল'রিয়েলের উত্তরাধিকারী তিনি। তিনি এবং তার পরিবার এই কোম্পানির ৩৩ শতাংশের মালিক। তার বয়স এখন ৬৫। সব সম্পদ তিনি পেয়েছেন তার মায়ের কাছ থেকে। তার মা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। এনিয়ে তারা দীর্ঘ বিরোধেও জড়িয়েছিলেন। মিজ বেটাকোর-মেয়ার একটি আইনি মামলা করেছিলেন যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তার মাকে আশেপাশের কিছু ব্যক্তি ব্যবহার করছে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর আগে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। তিনি একজন শিক্ষাবিদও। গ্রিক দেবতা এবং ইহুদি-খৃস্টান সম্পর্কের ওপরে তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২. এলিস ওয়ালটন এলিস ওয়ালটন তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থান ১৭ নম্বরে। তার বয়স এখন ৬৯। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সুপারমার্কেট ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের একমাত্র কন্যা তিনি। তিনি তার দুই ভাই থেকে একেবারেই আলাদা ধরনের মানুষ ছিলেন। পরিবারের ব্যবসা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। তিনি চিত্রকলার ওপর জোর দেন এবং ক্রিস্টাল ব্রিজেস মিউজিয়াম অফ আমেরিকান আর্টের চেয়ারম্যান হন। ৩. ম্যাকেঞ্জি বেজোস ম্যাকেঞ্জি বেজোস তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। এটা শুধু আমাজনের যতটুকু মালিকানা তিনি পাবেন তার আর্থিক মূল্য। মোট সম্পদের পরিমাণ এর চেয়েও আরো বেশি হবে। কতো বেশি সেটা জানতে আগামী ফোর্বস ম্যাগাজিনের দিকে চোখ রাখতে হবে। তার বয়স ৪৮। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে তিনি বিয়ে করেন ১৯৯৩ সালে। একটি হেজ ফান্ড কোম্পানিতে কাজ করার সময় তাদের পরিচয় হয়েছিল। তাদের চারটি সন্তান রয়েছে। আমাজনে যারা প্রথম চাকরি শুরু করেন তাদের একজন ছিলেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে। তিনি দুটো বহুল আলোচিত ফিকশন বই লিখেছেন। লেখক টনি মরিসনের কাছে লেখালেখির বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। টনি মরিসন বলেছেন, তিনি তার সেরা শিক্ষার্থীদের একজন। মিস বেজোস একটি এন্টি-বুলিং সংস্থাও গড়ে তুলেছেন। নাম বাইস্ট্যান্ডার রেভ্যুলুশন। এই সংস্থা থেকে ৪. জ্যাকুলিন মার্স জ্যাকুলিন মার্স তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার চারশো কোটি ডলার। বিশ্বের ধনী মানুষের তালিকায় তিনি আছেন ৩৩ নম্বরে। তার বয়স ৭৯। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কনফেকশনার মার্সের এক তৃতীয়াংশের মালিক তিনি। তার দাদা/নানা ফ্র্যাঙ্ক ১৯১১ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরিবারের এই ব্যবসায় তিনি কাজ করেছেন প্রায় ২০ বছর। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে তিনি পরিচিত অত্যন্ত দানশীল এক ব্যক্তি হিসেবে। ওয়াশিংটন ন্যাশনাল অপেরা, ন্যাশনাল আর্কাইভসহ আরো কিছু সংস্থার বোর্ড সদস্য তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে পোষা প্রাণীর জন্যে যারা খাবার তৈরি করে তাদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এই মার্স কোম্পানি। ৫. ইয়ান হুইয়ান তার মোট সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার দুশো কোটি ডলারেরও বেশি। চীনের সবচেয়ে ধনী মহিলা তিনি। আর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি ৪২ নম্বরে। তার বয়স এখন ৩৭। চীনে বাড়ি ঘরের ব্যবসা করে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের বেশিরভাগ অংশেরই মালিক তিনি। চীনে প্রপার্টি নির্মাণের যে ধুম লেগেছে তার পেছনে বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে এই কোম্পানির। এই কোম্পানির ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, সারা বিশ্বে যতোগুলো ডেভেলপার কোম্পানি আছে তার মধ্যে ২০১৬ সালের কান্ট্রি গার্ডেন ছিল তিন নম্বরে। ইয়ান হুইয়ান ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। কোম্পানিতে তার ৫৭% শেয়ারের বেশিরভাগই তিনি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন। ৬. সুজান ক্লাটেন সুজান ক্লাটেন তার সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার একশো কোটি ডলার। আর সারা বিশ্বে ধনীদের তালিকায় তিনি ৪৬ নম্বরে। তার বয়স ৫৬। জার্মান এই নারীর রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস ও গাড়ির ব্যবসা। রাসায়নিক কোম্পানি আলটানা এ জি-র ৫০% তিনি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে, তার পিতামাতা মারা যাওয়ার পর। বিএমডাব্লিউ গাড়ির ৫০ শতাংশেরও মালিকানা তার ও তার এক ভাই এর। পরে আটলান্টার একক মালিক হন তিনি। আরো কিছু কোম্পানিরও শেয়ার কিনে নেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে বায়ু শক্তি থেকে শুরু করে গ্রাফাইট উৎপাদনকারী কোম্পানিও রয়েছে। ৭. লরা পাওয়েল জবস লরা পাওয়েল জবস তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ন'শো কোটি ডলার। এবং সারা বিশ্বের ধনীদের মধ্যে তিনি ৫৪তম। তিনি সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের স্ত্রী। স্বামী মারা যাওয়ার পর অ্যাপল ও ডিজনির দুই হাজার কোটি ডলারের সম্পদের মালিক হন তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে। তার বয়স ৫৫। পরে তিনি তার কিছু অর্থ সাংবাদিকতার পেছনে বিনিয়োগ করেন। আটলান্টিক ম্যাগাজিনের একটি বড় অংশ কিনে নেন তিনি। এছাড়াও তিনি অলাভজনক প্রকাশনা মাদার জোন্স এবং প্রোপাবলিকাতেও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অভিবাসন ও শিক্ষা সংস্কারের মতো কিছু বিষয়েও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন কিছু প্রতিষ্ঠান। আরো পড়তে পারেন: পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' ৩ রোহিঙ্গা নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন: নেপথ্যে কী যে পোস্টারটি পাকিস্তানে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৭ নারী: কীভাবে তারা এতো সম্পদের মালিক হলেন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মি. রুইজ এবং মিস পেরেস তাদের জীবনযাত্রার ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করে খ্যতিবান হতে চেয়েছিলেন। পেড্রো রুইজ তার বুকের সামনে একটি ডিকশনারি ধরে রাখেন এবং গার্ল-ফ্রেন্ড মোনালিসা পেরেসকে বলেন গুলি চালাতে। কিন্তু ১.৫ ইঞ্চি পুরু ডিকশনারি ভেদ করে গুলি তার বুকে গিয়ে লাগে। পরে ডাক্তাররা মি. রাইজকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ছয় মাস আগে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের হ্যালস্টাড-এ। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, মি. রুইজ এবং মিস পেরেস তাদের জীবনযাত্রার ভিডিও প্রতিদিন ইউটিউবে পোস্ট করতেন। তারা নানা ধরনের প্র্যাংক বা রসিকতাও করতেন অনলাইনে। কিন্তু সেগুলো ছিল নির্দোষ রঙ্গরসিকতা। টুইট: "আমি এবং পেড্রো সম্ভবত খুবই বিপজ্জনক এক ভিডিও শ্যুট করবো। এটা তারই পরিকল্পনা, আমার না।" আরও দেখুন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? মন্ত্রী মান্নান: হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় একা বেঁচেছিলেন যিনি কাঠমান্ডু ছাড়ার অনুমতি পেল ৭ যাত্রী কিন্তু গত বছর জুন মাসে তারা পরীক্ষা চালিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন যে একটি বন্দুকের গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারে কী না। তাদের ধারণা ছিল গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারবে না। তারা ভেবেছিলেন সেই ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করা হলে সেটি ভাইরাল হবে এবং তারা বিখ্যাত হয়ে উঠবেন, এই ছিল তাদের আশা। এই পরীক্ষার সময় সেখানে অন্তত ৩০ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মত মিস পেরেস তার শক্তিধর ডেজার্ট ঈগল বন্দুক দিয়ে মি. রুজের বুকে গুলি চালান। গুলি লাগার পর মি. রুইজ পড়ে যান। জরুরি ফোনে ডাক্তাররা ডাকা হয়। কিন্তু মি, রুইজকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে যে মামলা হয় তাতে প্রমাণিত হয় যে মি. রুইজ নিজেই চেয়েছিলেন তার ওপর গুলি চালানো হোক। এরপর অনিচ্ছাকৃত খুনের জন্য মিস পেরেস আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালত তার বিরুদ্ধে লঘু দণ্ডের রায় দেয়।
ইউটিউবে খ্যাতির আশায় বয়ফ্রেন্ডের বুকে গুলি, তারপর জেল
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সহিংসতায় মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সন্ধ্যার পর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আর লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের একদফা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর তারা শাহবাগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ভবনে ভাঙচুর করে এবং গাড়ি, আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তারেক হাসান নির্ঝর বিবিসিকে জানান, আন্দোলনকারীরা টিএসসির দিকে আসলে ছাত্রলীগ কর্মীরাও তাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের হলগুলো থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এসে টিএসসিতে জড়ো হয়। রাত ২টার সময় তিনি জানান, চারদিক থেকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে আর ছাত্রলীগের কর্মীরা ইটপাটকেল মারছে। টিএসসি এলাকায় এ সময় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বিক্ষোভকারীদের সরাতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সোমবার সকাল ১১টায় আলোচনার প্রস্তাব করেন। তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘসময় ধরে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তাদের আহবান জানাচ্ছি। আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা নিয়ে এত ক্ষোভের কারণ কী? চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা? পুলিশ অনেককে আটক করছে বলেও জানা গেছে, যদিও শাহবাগ থানার পুলিশ আটককৃতদের কোন সংখ্যা জানাতে পারেনি। টিয়ারগ্যাস আর লাঠিপেটায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। সিভিল সার্ভিস বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থায় নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করে রোববার দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। তবে রাত আটটার দিকে সেখানে গিয়ে পুলিশ তাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকা থেকে জানিয়েছিলেন, কোনও একটি ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। সেইসাথে সোমবার তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানাচ্ছেন। রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চিত্র বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিভিন্ন ধরনের কোটা চালু আছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সে সমস্ত কোটাকে কমিয়ে আনার দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা শাহবাগে মিছিল ও সমাবেশ করছেন। বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র খান মোহাম্মদ শরীফ বিবিসিকে বলছিলেন, "অনেকদিন ধরেই আমরা জনমত তৈরির চেষ্টা করছিলাম। এর আগে ছয়বার আন্দোলন করে রাস্তায় নেমেছি। এখন সারা বাংলাদেশে দাবি আদায়ে কমিটি হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন সফল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে থাকবো।" শাহবাগে কোটা সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনকারী একটি সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ উজ্জ্বল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের মূল দাবি কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার। তিনি জানান, এ নিয়ে সাতবার তারা রাস্তায় নেমেছেন। কারণ বর্তমানে প্রচলিত নানা রকমের কোটার ফাঁদে পড়ে মেধা নিয়েও অনেক শিক্ষার্থী সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো ক্যাডার পাচ্ছে না। তিনি বলেন, "চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা মেধাবীদের সাথে রাষ্ট্রের বঞ্চনা। তাই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।" বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ' এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল - •কোটা-ব্যবস্থা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। সেটিকে ১০% এ নামিয়ে আনতে হবে) •কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া •সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- ( মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরীর বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০। সেখানে অভিন্ন বয়স-সীমার দাবি আন্দোলনরতদের।) •কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া, যাবে না ( কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে) •চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না। চাকরির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে। (ফাইল ছবি) যদিও কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত মার্চ মাসের শুরুতে সরকারি সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল যে, সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে কোটার কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা না গেলে, সেসব পদ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে । জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে একটি আদেশও জারি করে। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা বলছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে তারা দেখেছেন, শেষপর্যন্ত কোটা থেকেই কোটা পূরণ করা হবে। মোঃ উজ্জ্বল যেমনটা বলেন, "এক ধরনের কোটা থেকে পূরণ না হলে আরেক কোটা থেকে, তা না হলে আরেক কোটা থেকে এভাবে নেয়া হবে। সর্বশেষ ধাপে গিয়ে মেধাবীদের কথা বলা হয়েছে"
কোটা সংস্কার: মধ্যরাতে বিক্ষোভ-সহিংসতায় উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
নাজিব রাযাক অচিহ্নিত অনেকগুলো গাড়ির বহরে করে মি. রাযাককে তাকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ। বুধবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হবে। ওয়ানএমডিবি নামে একটি সরকারী বিনিয়োগ তহবিল থেকে শত শত কোটি ডলার উধাও হয়ে যাবার মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অভিযোগে বলা হয়, মি. রাযাক ওই তহবিলের ৭০ কোটি ডলার পকেটস্থ করেছেন। মালয়েশিয়ায় একটি 'আর্থিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র' গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৯ সালে ওয়ানএমডিবি শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের বিভিন্ন ব্যাংক ও বন্ডমালিকদের প্রায় একশ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবার পর এটি আলোচনায় আসে। পরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এক রিপোর্টে বলা হয়, তারা এমন দলিলপত্র দেখেছেন যাতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৭০ কোটি ডলার নাজিব রাযাকের নিজ একাউন্টে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। গত মে মাসের নির্বাচনে মি. রাযাক পরাজিত হন, ক্ষমতাসীন হন আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এর পর দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলাকালীন সময়ে নাজিব রাযাকের দেশের বাইরে যাবার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তার বাড়ি থেকে পুলিশ ২৭ কোটি ডলার মূল্যের বিলাসদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে - যার মধ্যে ছিল দামী ঘড়ি, নেকলেস, জুতো এবং হাতব্যাগ সহ মি. রাযাকের স্ত্রীর ১২ হাজার অলংকার। মি. রাযাক কোন অন্যায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নাজিব রাযাকের বাড়ি থেকে ২৭ কোটি ডলারের অলংকার মালয়েশিয়ার রাজনীতি: ব্যাগ ও স্যান্ডেলের গল্প মালয়েশিয়া নির্বাচন: মাহাথিরের জয়ের রহস্য
দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাযাক
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
টেকনাফে একটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প রোহিঙ্গাদের পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট 'রোহিঙ্গা ভিশন ডট কম'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধর্ষণের এই অভিযোগ সম্পর্কে জানা যায়। প্রতিবেদনটিতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটার সময় উল্লেখ করা হয়েছে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর রবিবার, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা। এতে বলা হয়, দুইজন কিশোরী তাদের ঘরের মধ্যে খেলা করছিল । সেই সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর দুইজন সদস্য এদের একজনকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেনাসদস্যরা স্থান ত্যাগ করার পরে প্রতিবেশীরা কিশোরীটিকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিবিসিকে বলেন, "অতি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিদেশি অনলাইন পোর্টালে আমরা দেখতে পেলাম ১২ বছরের একটা রোহিঙ্গা মেয়ে সেনাসদস্য কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে"। "ঐ সময় যৌথবাহিনীর যে নিয়মিত টহল হয় সেই টহল ঐখানে দিচ্ছিল। যাইহোক, বিদেশি অনলাইন ভিত্তিক পোর্টালে এই অভিযোগটা আসার পরে আমরা সে বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে একটা উচ্চ পর্যায়ের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি"। ২০১৭ সালের অগাষ্টের শেষ দিকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে বিবিসির কথা হয়। তারা জানান, তারাও ২৯শে সেপ্টেম্বরের এই ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছেন। সেনাসদস্যদের জড়িত থাকার কথাও তারা উল্লেখ করেন। একজন রোহিঙ্গা নেতা বলছিলেন, ঐ ঘটনার পর 'ভিকটিমের পরিবার' এখন আর কোন কথা বলতে চাচ্ছে না। কক্সবাজারের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৩০ শে সেপ্টেম্বর সদর হাসপাতালে একজন 'রেপ ভিকটিমকে' চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি দুইদিন ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি। আইএসপিআর এর পরিচালক লে .কর্নেল জায়েদ অভিযুক্ত সেনাসদস্যদের ব্যাপারে বলছেন, "যদি দোষী প্রমাণিত হয়, সেই দোষের মাত্রা অনুযায়ী দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে"। তদন্ত কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, "সেনাবাহিনী উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে এই কমিটি গঠন করেছে, যারা এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে, এটা যে স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার সেটা উপলব্ধি করে সেই রকমভাবে তদন্ত করতে পারেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন"। এদিকে, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিবিসিকে জানান এই অভিযোগের কথা লোকমুখে শুনতে পেয়ে তিনি পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছিলেন। তবে ভিকটিমের পরিবার বা প্রতিবেশী এমন কাওকে পাওয়া যায়নি। কয়েক হাজার এমন ঘরে বাস করছে রোহিঙ্গারা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, "যদি আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ না করে তাহলে তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনা। তবে আমরা এমন একটা গুঞ্জন শুনে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি"। কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার অবশ্য বলেন, "এই ধরণের তথ্য সত্য না"। এদিকে কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, "এই প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত আছে"। তারা আরো বলছে, এই ধরণের ঘটনায় ব্যক্তিকে চিকিৎসা, মানসিক এবং শারীরিক সাহায্য পেতে পারে। সংস্থাটি বলছে, "ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার বজায় রাখা এবং চলমান তদন্তে আমরা ব্যক্তির বিস্তারিত জানাতে পারি না"। ২০১৭ সালের অগাস্টের শেষ দিকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করে। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে এসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়ার নানা অভিযোগ করেছিলেন। এদের অনেকেই গণধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ণের অভিযোগও করেছিলেন। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১১ লক্ষের মত রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী কাজ করছে। সেখানে বেশ কিছু দেশি ,বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করছে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য। আরো পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া যেভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন ডেমোক্রেটিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাম্পের বাক্যবাণ নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? বিশ্বে নারী আবিষ্কারকদের সংখ্যা কম কেন?
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জার্মানির মিউনিখে গিয়ে পৌঁছে গেছেন বহু শরণার্থী অস্ট্রিয়ার সাথে সীমান্ত আর বুদাপেস্টের মূল রেল স্টেশন থেকে শত শত মানুষ রেলগাড়িতে উঠে বসছে। শুধু গতকালই অস্ট্রিয়ায় ঢুকেছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। এসব অভিবাসী, যাদের সিংহভাগই সিরিয়া থেকে আসা, তাদের অনেকে ইতিমধ্যে জার্মানির মিউনিখেও পৌঁছে গেছে। চরম বিপদসংকুল দীর্ঘ এক যাত্রার পর ভিয়েনার রেল স্টেশনে এসব আশ্রয়প্রার্থীদের চোখে মুখে ছিল স্বস্তি। জার্মানির ট্রেনে ওঠার আগে ভিয়েনার রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন আনাউদ, সিরিয়ার রাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন তিনি। এই তরুণী বলেছেন, সবাই এখানে খুবই খুশি। এখন আর তারা ভয় পাচ্ছেন না। ভিয়েনাতে নারী,পুরুষ, শিশু সবাই তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। তারা তাদের খাবার দিচ্ছে, পানি দিচ্ছে, কফি দিচ্ছে, ব্যাগ দিচ্ছে। ওদিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ১০,০০০ আশ্রয়প্রার্থী হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রিয়াতে ঢুকেছে। অস্ট্রিয়ার সরকার বলছে, কাউকে আটকানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। জার্মানির উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে বসেছেন অনেকে এদের প্রায় সবাই জার্মানিতে যেতে চাইছে। ভিয়েনা থেকে জার্মানির মিউনিখে নেয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে অস্ট্রিয়ার কর্তৃপক্ষ। গতকাল প্রায় ৭,০০০ অভিবাসী মিউনিখে পৌঁছে। আজ ভোরের দিকেও কয়েকশ শরণার্থী অস্ট্রিয়া থেকে ট্রেনে করে মিউনিখ স্টেশনে এসে নেমেছে। তাদেরকে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। এবং জার্মানির অন্যান্য শহরের ট্রেনে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওদিকে কতো শরণার্থীকে জার্মানির আশ্রয় দেওয়া উচিৎ তা নিয়ে সেদেশে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলছেন, সংখ্যা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। কিন্তু জার্মানির দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকরা আপত্তি করছেন। তারা বলছেন, চ্যান্সেলর মের্কেল ভুল বার্তা দিচ্ছেন। অন্যদিকে, অভিবাসীদের আটকে রেখে সেখানেই আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার উদ্যোগ নিতে গিয়ে চাপে পড়া হাঙ্গেরি আপাতত তাদের সীমান্ত শিথিল করলেও, তারা বলছে, সংসদ অনুমোদন করলে তারা সীমান্তে সৈন্য পাঠাবে।
জার্মানি অভিমুখে শরণার্থীদের স্রোত অব্যাহত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
পারিবারিক অর্থকড়ি সামলাতে জাপানের নারীদের সহায়তা করতে এই কৌশলটি উদ্ভাবন করা হয়। এশিয়া হচ্ছে একমাত্র মহাদেশ যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ কিছু অর্থ সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখেন - এই হার দক্ষিণ আমেরিকায় মাত্র ৩০ শতাংশ বলে জানিয়েছে নিয়েলসন ইন্সটিটিউটের একটি গবেষণা। আর সঞ্চয়ের উদ্বৃত্ত করতে এশিয়ায় এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক বাসিন্দা - যাকে বলা হচ্ছে 'কাকিবো'। এটি ১১৫ বছর পুরনো একটি জাপানি কৌশল, যেখানে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয় - তবে সেজন্য অবশ্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। শুধুমাত্র একটি নোটবুক আর একটি পেন্সিল থাকলেই চলে। যারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তারা জানিয়েছেন যে এটা মানুষকে তাদের আয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: একটি ছবি যেভাবে আপনাকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে যে সাতটি উপায়ে বদলে ফেলবেন নিজের জীবন ফুমিকো চাইবার বই - 'কাকিবো: হিসাব এবং অর্থ সঞ্চয়ের জাপানি কৌশল'। গোঁড়ার কথা জাপানি শব্দ 'কাকিবো' মানে হলো 'বাসার অর্থকড়ির হিসাবের বই'। 'কাকিবো: হিসাব এবং অর্থ সঞ্চয়ের জাপানি কৌশল' বইয়ের লেখক ফুমিকো চাইবা বলছেন, ১৯০৪ সালের দিকে এই পদ্ধতির সূচনা হয়েছিল। সেখানে তিনি লিখেছেন, এই পদ্ধতিটি তৈরি করেন জাপানের প্রথম নারী সাংবাদিক হানি মোতোকো। তিনি এমন একটি কৌশল আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন, যার ফলে জাপানের নারীরা তাদের পরিবারের অর্থকড়ি ভালোভাবে সামলাতে পারবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একজনকে 'ক্রুশবিদ্ধ' শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম কেন বন্ধ করা হলো? বারাক ওবামাকে হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল যারা দুর্ঘটনায় সংজ্ঞাহীন নারী জেগে উঠলেন ২৭ বছর পর আধুনিক প্রযুক্তি সত্ত্বেও টিকে রয়েছে কাকিবো পদ্ধতি। ওই সময় বেশিরভাগ নারীকেই বাসার বাইরে কাজ করতে দেওয়া হতো না এবং তারা শুধুমাত্র পরিবারের খরচ হিসাবে স্বামীর দেওয়া অর্থ থেকে যেটুকু সম্ভব বাঁচিয়ে সঞ্চয় করতে পারতেন। ''জাপানে অনেক দিক থেকেই ঐতিহ্যবাহী কিছু সংস্কৃতি অনুসরণ করা হয়, তবে কাকিবো যেন নারীদের স্বাধীনতার একটি উপায়ও তৈরি করেছিল,'' চাইবা লিখেছেন। ''এটা অর্থনৈতিক ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এনে দিয়েছে।'' এমনকি বর্তমানের হিসাব-নিকাশ করার অসংখ্য প্রোগ্রাম এবং অ্যাপ থাকা সত্ত্বেও জাপানে এ ধরণের বুকলেট এখনো বিক্রি হচ্ছে। কাকিবোর মূল কৌশল হলো আয় ও ব্যয়কে একাধিক ভাগে ভাগ করে পর্যালোচনা করা। পদ্ধতিটি ঠিক কী প্রথম দিকে কাকিবো'র বিষয়টি একটু কঠিন মনে হতে পারে - তবে সেটাই এই পদ্ধতির সাফল্যের চাবিকাঠি, বলছেন চাইবা। প্রথমত, আপনাকে প্রতিদিনের বা সাপ্তাহিক আয় ও ব্যয়ের বিষয়টি কয়েকটি ভাগে লিখতে হবে। যেমন আয়, নিয়মিত খরচ (ভাড়া, পরিবহন, খাবার, ওষুধ), অবসরের খরচ এবং অতিরিক্ত ইত্যাদি। আপনি যতগুলো ইচ্ছা ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারেন। অনেকে যেমন খাবার খরচটি নানাভাবে তালিকাভুক্ত করেন এবং তাদের নানা রঙে লিখে থাকে, যাতে সেগুলো সহজে নজরে পড়ে। মাস শেষে আপনি মোট আয় থেকে এসব খরচ বাদ দেবেন। কিন্তু প্রক্রিয়াটি এখানেই শেষ হচ্ছে না। কাকিবো শুধুমাত্র খরচ নিয়ন্ত্রণই করছে না, বরং আমাদের শেখাবে কিভাবে নিজের অর্থকড়ির সঠিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। পদ্ধতি ব্যবহারকারীরা বলছেন, কাকিবো খরচের ব্যাপারে মনোযোগী করে তোলে। সমন্বয় খুঁজে বের জাপানি এই কৌশলের পেছনে আসল উদ্দেশ্য হলো, যেসব ব্যয় বাদ দেওয়ার উপায় নেই, সেগুলোকে শনাক্ত করে অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো এড়িয়ে চলা। ''প্রতি মাসের শুরুতে আপনি একবার কাকিবো নিয়ে বসবেন এবং মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করবেন যে আপনি কতটা সঞ্চয় করতে চান। এই সঞ্চয়ের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আপনাকে কী করতে হবে,'' বলেছেন চাইবা। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য আপনাকে হয়তো চারটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। *আপনি এখন পর্যন্ত কতটা সঞ্চয় করতে পেরেছেন? * আপনি আসলে কতটা সঞ্চয় করতে চান? * আপনি কত টাকা খরচ করতে যাচ্ছেন? * আগের মাসের তুলনায় সঞ্চয় বাড়াতে এই মাসে আর কী করা যেতে পারে? এসব উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পরামর্শটি খুবই সাধারণ - কাকিবো পদ্ধতি আপনার আয় এবং ব্যয়ের একটি পরিষ্কার চিত্র পেতে সহায়তা করে। যারা কাকিবো পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তাদের মতে নিজে নিজে এই পদ্ধতি অনুসরণ করার ফলে আপনি কোথায় কিভাবে খরচ করছেন, সেটিকে বেশি মনোযোগী করে তুলবে এবং কীভাবে কী করলে ভালোভাবে সঞ্চয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে, সেটা ভাবতে বাধ্য করবে। সুতরাং আপনি কি একবার চেষ্টা করে দেখতে চান?
কাকিবো: জাপানি যে পদ্ধতি আপনার আয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়ে সাহায্য করতে পারে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তিন বছর আগে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল। শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের কোন পর্যায়েই এখনও আসতে পারেনি। বরং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সীমান্তে তাদের সৈন্য সমাবেশ করে বাংলাদেশের জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলে তিনি মনে করেন। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মি: কাদের বলেছেন, সরকারের কূটনৈতিক সফলতা যখন দৃশ্যমান, তখন বিএনপি নেতার বক্তব্য 'বিভ্রান্তিকর', 'ষড়যন্ত্রমূলক' এবং 'রাজনৈতিক মিথ্যাচার' ছাড়া আর কিছু নয়। মিয়ানমারে নিপীড়নের অভিযোগ তুলে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ায় আশ্রয় নেয় তিন বছর আগে ২০১৭ সালের অগাষ্ট মাসে। তিন বছরেও যখন তাদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি, তখন কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সীমান্তের কাছে তাদের সৈন্য সমাবেশ করার খবর আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা ইস্যু আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় এসেছে। বিরোধীদল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রোহিঙ্গা সংকট নিয়েই শুক্রবার তাদের দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মি: আলমগীর অভিযোগ করেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সরকার কূটনৈতিকভাবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। "মিয়ানমার অত্যন্ত সচেতনভাবেই রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য সেখান থেকে বিতাড়িত করেছে। এবং এটা গণহত্যা সেখানে ঘটেছে। এনিয়ে আমরা বলেছিলাম যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করা এবং সমগ্র বিশ্বকে যুক্ত করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেটা করতে সক্ষম হয়নি এবং তাদের কোন আগ্রহও ছিল না।" তিনি আরও বলেছেন, "সরকার এককভাবে করতে গিয়ে আজকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখন সমস্যা জটিল থেকে আরও জটিল হয়েছে। এরমধ্যে দেখা যাচ্ছে যে, মিয়ানমার সৈন্য সমাবেশ করছে সীমান্তে। যেটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট হুমকি।" মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন সংবাদসম্মেলন বিএনপি এখন কেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংবাদস ম্মেলন করে বক্তব্য তুলে ধরছে, সে ব্যাপারে মি: আলমগীর নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি মিয়ানামারের কাছে স্পষ্ট হয়ে থাকতে পারে। আর সেজন্যই মিয়ানমার অযাচিত এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করার দু:সাহস দেখাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত-চীন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ হলে তা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশে সরকার থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়নি বলে তারা মনে করছেন। বিএনপি নেতা মি: আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য দ্বিপাক্ষিক, বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক-কোন পর্যায়েই কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। "কোথায় কোন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং তা কতদূর ফলপ্রসু হয়েছে-আমরা এখন পর্যন্ত তা দেখতে পাইনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, জাতিসংঘ নিজে থেকে প্রথম দিকে অত্যন্ত উদ্যোগ নিয়েছিল। তার পরবর্তীকালে আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশ সরকারের উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে একটা চিঠি পাঠানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি।" মি: আলমগীরের বক্তব্য হচ্ছে, "নিরাপত্তা পরিষদের যে দু'জন সদস্য চীন এবং রাশিয়া-যারা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত।তারাও এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের পুরোপুরি বিরোধীতা করছে। এই অবস্থায় সরকারের যে দাবি-তা একেবারে ভিত্তিহীন।" ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের বক্তব্য দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মি: কাদের সরকারের দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, "রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের মানবিক উদ্যোগ এবং কূটনৈতিক তৎপরতা জাতিসংঘসহ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী সমাধান খোঁজার জন্য দ্বিপাক্ষিক-ত্রিপাক্ষিকসহ বহুপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জোর দাবি তোলা হয়েছে এবং তা কার্যকর রয়েছে।" আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, "সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই বিভিন্ন দেশ এবং আনতর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সরকারের কূটনৈতিক সফলতার পরও বিএনপি মহাসচিব ইস্যুটি নিয়ে উস্কানিমূলক, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিচ্ছেন। আসলে বিএনপি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় না" বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক চেষ্টা থেমে যায়নি। এছাড়া এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চীন এবং রাশিয়ার অবস্থানও পরিবর্তন হয়েছে বলে বাংলাদেশ মনে করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিপীড়ন এবং গণহত্যার অভিযোগ যে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে- সেটাকেও বড় সফলতা হিসাবে বর্ননা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐ কর্মকর্তা। জটিলতা কোথায়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলফার ইয়াসমিন মনে করেন, এবার রোহিঙ্গা সমস্যা পিছনে মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বের প্রশ্ন রয়েছে, সেজন্য বেশি জটিল হয়েছে। "এবার বিষয়টা অনেক জটিল। কারণ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টা আছে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদেরকে একটু ধীরে এগুতে হবে। এবং সেজন্য আমি মনে করি না-এটা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা শুধু দ্বিপাক্ষিকভাবেই নয়, আমরা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছি, মানে আমরা কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বজায় রেখেছি।" পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, একদিনে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সেখানে তারা সময়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বিএনপি নেতা মি: আলমগীর বলেছেন, এই সংকট স্থায়ী হলে সেটা বাংলাদেশের জন্য আরও সমস্যা তৈরি করবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'ভাসানচর মিয়ানমারের কাছে ভুল বার্তা দেবে' রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: দ্য হেগ থেকে আদালত বাংলাদেশে স্থানান্তরের অনুরোধ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ আটকে গেছে
রোহিঙ্গা সঙ্কট: বিএনপি বলছে সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ হয়েছে, আওয়ামী লীগ বলছে বিরোধীদের বক্তব্য 'উস্কানিমূলক'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডিট-এ ট্রাম্পপন্থী একটি ফোরামে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। কয়েক বছর আগের একটি ভিডিও পরিবর্তন করে এটি তৈরি করা হয়েছে। ২০০৭ সালের রেসলিং-এর একটি ইভেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত হয়েছিলেন, যেখানে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ভিন্স ম্যাকমোহনকে 'আক্রমণ' করেন যার পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত ও লিখিত। সেই ভিডিও ক্লিপটিই পরিবর্তন করে এটি তৈরি করা হয়েছে। ট্রাম্পের ইন্টারেনেট ফোরামে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। সিএনএন অভিযোগ করে বলছে, সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবিসি মর্নিং শো-এর একজন প্যানেলিস্ট আনা নাভারো বলেছেন "এটা সম্পূর্ণ সহিংসতার উস্কানি। তিনি মিডিয়ার কাউকে খুন করে ছাড়বেন মনে হয়"। চারদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডিট-এ ট্রাম্পপন্থী একটি ফোরামে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। আর সেটি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পায়। সিএনএন নিউজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে মি: ট্রাম্পের অনবরত বাকবিতন্ডা লেগেই রয়েছে, এই সংবাদমাধ্যমকে তিনি "ভুয়া খবর" বলে উল্লেখও করেছেন। আর এমন এই ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করার একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন যেন গণমাধ্যমকে এড়িয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখা যায়। "আমি আধুনিক যুগের প্রেসিডেন্ট" বলেও নিজের টুইট নিয়ে সাফাই গেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় থাকায়, তার মন্তব্য নিয়েও কম সমালোচনা হয় না। সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজের মতামত জানানোর পরিবর্তনে তিনি টুইটারে মন্তব্য করতেই বেশি পছন্দ করেন। সবশেষ এক টেলিভিশন চ্যানেলের দুই উপস্থাককে ব্যক্তিগতভাবে টুইটারে আক্রমণ করে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়েও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। আরো পড়ুন: চারশো বছরের পুরনো রথযাত্রা হওয়া নিয়ে সংশয় ‘বজ্রপাত কেড়ে নিচ্ছে গ্রামের কর্মঠ পুরুষদের’ মেসির বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র হয়তো কোথাও হারিয়ে গেছে: ম্যারাডোনা ‘ভারতের সীমানায় ঢুকে দেখুক চীন, বুঝবে কী হয়’ পরিকল্পিত ও লিখিত ওই রেসলিংয়ে কিছুটা আঘাতও পেয়েছিলেন ট্রাম্প
সিএনএনকে ‘পিটানোর’ ভিডিও পোস্ট করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সব ধরণেই পণ্যই এখন বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা-বেচা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলছেন যে এতে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখেই কঠিন হবে। এক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে নিবন্ধনের কথা বলছেন অংশীজনরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে তারা এই নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত করেনি। অংশীজনদের থেকে মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক পরিবর্তন আনা হবে। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পুনরায় আলোচনায় বসেছে এবং বিভিন্ন অংশীজনের মতামত পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে। ফেসবুকে একটি পেজ খুলে গত কয়েক মাস ধরে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করছেন ঢাকার বাসিন্দা ফারহানা আক্তার। কম দামে ভালো পণ্য দেয়ায় দ্রুত পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই ফেসবুক কেন্দ্রিক ব্যবসাকে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারে, এমন খবর শোনার পর থেকে তিনি উদ্বেগে আছেন। একে তো ট্রেড লাইসেন্সের খরচ তার ওপর প্রতিবছর কর পরিশোধ করে ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়েই এখন সন্দিহান ফারহানা আক্তার। "এখন যদি লাইসেন্স করা লাগে তাহলে কতো জায়গায় ঘুরতে হবে। এখানে তো কোন কাজ একবারে হয় না। তার ওপর সীমিত লাভ। সেখান থেকে কর দিব কি। এতো ঝামেলা থাকলে ব্যবসাই হয়তো ছেড়ে দিতে হবে," বলেন তিনি। আরও পড়তে পারেন: মহামারির মধ্যে যেসব নতুন ব্যবসা বেড়েছে বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে অনুসরণ করতে পারেন এই দশটি ধাপ অনলাইন ব্যবসা: বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সেক্টরের যত চ্যালেঞ্জ ফারহানা আক্তারের মতো বাংলাদেশে ফেসবুকসহ আরও নানা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা করছেন কয়েক লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যার পরিসর দিন দিন বাড়ছে। উদীয়মান এই খাতকে এখনই ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনার বিরোধিতা করেছেন ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সরকারের এই কঠোর বিধিমালার কারণে অনেকেই অনলাইন ব্যবসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। বিশেষ করে ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করে যেসব ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা এগিয়ে গিয়েছেন, তারা ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ, কঠোর বিধিবিধান এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন, যা ই কমার্সের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ডেপুটি জেনারেল মাহমুদুর রহমান বলেন, "যদি কঠিন নিয়মের ভেতরে ফেলা হয় তাহলে উদ্যোক্তারা আর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যবসা করতে আসবে না। কিন্তু তাদের জন্য ব্যবস্থাটা যদি সহজ আর সুলভ করা হয় তাহলে এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাই দেশের অর্থনীতিকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে।" বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহার করে লক্ষাধিক মানুষ ই-কমার্স ব্যবসা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই খসড়া নীতিমালায় সকল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিশেষ করে যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস আছে তাদেরকে জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও ভ্যাট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন তারা এই নির্দেশিকা কর আরোপের জন্য নয় বরং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কেনাবেচার বিষয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মেধাসত্ত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে করেছেন। যার মাধ্যমে ভোক্তা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা পাবে। তবে লাইসেন্স নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে অংশীজনদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছে মন্ত্রণালয়। উদ্যোক্তাদের বিকল্প নিবন্ধনের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে কয়েক মাসের মধ্যে নীতিমালাটি আইন আকারে চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানান মি. রহমান। তিনি বলেন, "আমাদের টার্গেট ট্যাক্স আদায় না। আমাদের মূল টার্গেট ই-কমার্স ব্যবসায় শৃঙ্খলা আনা। তারপরও আমরা চিন্তা করছি ট্রেড লাইসেন্সের বিকল্প কোন সহজ নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে। যেন কেউ কোন অনিয়ম করলে তাকে ধরে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।" বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্শিয়াল সেল রয়েছে সেখানেও নিবন্ধনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের পরিবর্তে সেলের নিবন্ধন নম্বরটা ব্যবহার করা যায় কিনা সেই বিকল্প চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়া একদিকে যেমন সহজ তেমনি কোন টাকা দিতে হবে না। অন্যদিকে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্যাশ-অন-ডেলিভারিসহ সব ধরণের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে করে সেটা বাধ্যতামূলক করে নীতিমালা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের আওতায় আনার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানকে শুধুমাত্র একটি ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার শর্ত দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা নিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শংকা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবীদেরও অনেকে বলেছেন, খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ সাধারণ মানুষেরও অধিকার খর্ব করবে। গত ১৬ই মে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসন শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিচারাধীন মামলার খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়। বিচারাধীন কোন বিষয়ে খবর পরিবেশন করা যাবে না, সুপ্রীমকোর্টের এমন অনুরোধ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকার সমর্থক সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলছিলেন, সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশনা স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, সেজন্য তারা এর প্রত্যাহার দাবি করেছেন। শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব। "আমরা মনে করি সাংবাদিকতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা সরকার ঘোষিত তথ্য অধিকার আইনের সাথে এটা সাংঘর্ষিক। এই নির্দেশনার কারণে বস্তুনিষ্ঠ এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়বে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।" আইনজীবীদেরও অনেকে সুপ্রীমকোর্টের এমন অনুরোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারাও মনে করেন, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বাধা সৃষ্টি করবে। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলছিলেন, বিষয়টি সাধারণ মানুষের অধিকারও খর্ব করে। কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া সংবিধানের এই অধিকার খর্ব করা যায় না বলে তিনি মনে করেন। "সংবাদমাধ্যমের জন্য এটা অবশ্যই একটা বড় হুমকি। প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই একটা বড় সমস্যা এবং আমাদের অধিকার লঙ্ঘন।আমাদের সংবিধানের ৩৯-ধারায় পরিষ্কার করে বলা আছে, একদিকে সংবাদের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হলো, অন্যদিকে প্রত্যেক নাগরিকের বাক-স্বাধীনতার অধিকার অর্থাৎ তথ্য পাওয়ার অধিকার তার মধ্যে সংযুক্ত। এই অধিকারগুলো খর্ব করা কিছু নির্দিষ্ট কারণে, যেগুলো সেই একই ধারা মধ্যে উল্লেখ করা আছে। কিন্তু আদেশটিতে কোন লক্ষ্য কিন্তু উল্লেখ করা হয়নি।" তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না, অন্য কোন দেশে এ রকম নির্দেশ আছে কিনা, আমার জানা নাই।" সারা হোসেন, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী আরো পড়তে পারেন: মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা ফিলিস্তিনের 'আত্মসমর্পণ': রিয়াদ মালকি 'শিবির পালানো রোহিঙ্গাদের কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না' ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটন দাসের তারতম্য কতটা? সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, যেভাবে অনুরোধ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সুপ্রীমকোর্টের মর্যাদা রক্ষায় সংবাদমাধ্যমেরও দায়িত্ব থাকে বলে তিনি মনে করেন। "পত্রপত্রিকা লিখবে না, এটা শুনতে ভাল লাগে না। যা হচ্ছে, পত্রপত্রিকা তা লিখবে। তবে একটা কথা আমি বলবো, যেভাবে বিভিন্ন পত্রিকা সুপ্রীম কোর্টকে নিয়ে রিপোর্টিং করছে এবং সুপ্রীমকোর্টকে ম্যালাইনও করা হচ্ছে। এটা কন্ট্রোলও..তবে একেবারে যেভাবে করছে, সেটা প্রশ্ন আসবে।" "তবে এটাও সত্য, এটা একটু কন্ট্রোলের মধ্যে আনা উচিত। এবং আমরা দেখছিলাম, প্রচারের জন্য একই ধরণের মামলা নিয়ে তিন-চারটি পার্টি আসে। মামলা করে তারা সাথে সাথে টিভির সামনে দাঁড়িয়ে যায়। যেন জনগণের উপকার করা উদ্দেশ্য নয় - টিভিতে চেহারা দেখানোটাই উদ্দেশ্য।" তবে বিচারাধীন বিষয়ে খবর পরিবেশন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ এসেছে সুপ্রীমকোর্টের প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, "প্রশাসনিক অর্ডার ইজ অলসো অ্যান অর্ডার অফ দা সুপ্রীমকোর্ট। এটা মানা উচিত।" গত ১৬ই মে সুপ্রীমকোর্টের প্রশাসন শাখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, "ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোন কোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনও কোনও প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত"। "এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোনও বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো" - বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো বলছে, বিচারাধীন মামলার খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞায় অধিকার খর্ব হবে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
১৯৯৬ সালে রাসেল বাকলোকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এবং একই সাথে সেই প্রেমিকার নতুন প্রেমিক ও ছয় বছর বয়সী ছেলেকে হত্যার জন্য ৫০ বছর বয়সী রাসেল বাকলোকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। রাসেল বাকলো বিষ ইনজেকশন না দিয়ে বরং গ্যাস প্রয়োগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুরোধ করেন। তিনি দাবি করেন যে তার মস্তিষ্কের বিরল একটি অসুখ রয়েছে। তিনি আদালতকে জানান যে এই অসুখের কারণে তার গলা, ঘাড় ও মুখে রক্তযুক্ত টিউমার হয়ে থাকে। বিষ ইনজেকশন প্রয়োগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তাকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আরো পড়ুন: ১২ বছরে ৩০০ মৃত্যুদণ্ডের সাক্ষী যে নারী ইমাম ছাড়াই আ্যালাবামার মুসলিম বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের প্যানেল। কারণ তাতে টিউমারগুলো ফেটে যেতে পারে। আদালত এক বিরল রায়ে বলেছে, "মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর ব্যথাহীন মৃত্যুর অধিকার নেই।" আদালত বলেছে তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কার্যকর করার বিষয়টি বিলম্বিত করার কায়দা হিসেবে এই অসুখটিকে ব্যবহার করছেন। আদালত আরও বলেছে, কি প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তার কষ্টের ঝুঁকি কম হবে সেটি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মি. বাকলো। মামলা চলাকালীন মি. বাকলো যুক্তি তুলে ধরেন যে মার্কিন সংবিধানে নিষ্ঠুর সাজা আইনত অবৈধ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তা নিষ্ঠুর সাজার সমতুল্য। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া বিচারক নিল গরসাচ বলেন, "মার্কিন সংবিধানে নিষ্ঠুর কায়দায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা অবৈধ করা হলেও তাতে ব্যথাহীন মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই।" রাসেল বাকলোর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ বছর ধরে ঝুলে আছে। এই রায়ের ফলে সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে আর কোন বাধা রইলো না। অন্যান্য খবর: মানুষ কি করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? দিল্লির জামিয়াতে বাতিল 'ইসলাম-বিরোধী' ফ্যাশন শো পিউডিপাই-কে হারিয়ে ইউটিউবের শীর্ষে টি-সিরিজ
আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত বলছে - মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর ব্যথাহীন মৃত্যুর অধিকার নেই
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
গণহত্যার স্মৃতি নিয়ে খুলনার চুকনগর বদ্ধভূমির স্মৃতিসৌধ দু'দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের মোট ২৬ জন গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক যোগ দেবেন বলে কথা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে কেন বাংলাদেশীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন বলছেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বিষয়টিকে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গণহত্যা এবং মানুষের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় এই বিষয় নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি, বলছেন তিনি, কারণ সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে কোন দেশ কী ভূমিকা পালন করেছিল, তাহলে সেই বিষয়টা সামনে চলে আসতো। বাংলাদেশে গণহত্যার ওপর একটি শিল্পকর্ম। আরো পড়তে পারেন: মুশফিক ও ওয়ানডে ক্রিকেটের পাঁচটি স্মরণীয় ৯৯ গুগল সম্পর্কে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই বাংলাদেশের যে ৫টি স্থান পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয় ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ যে আত্মত্যাগ করেছিল সেই প্রসঙ্গটিও আড়ালে পড়ে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। ড. মামুন বলছেন, ইতিহাসের এই ভারসাম্যহীনতা দূর করার স্বার্থেই গণহত্যার বিষয়টির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। ঐসব গণহত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের স্বার্থেও এই স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে। গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কাজল আব্দুল্লাহ বলছিলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিষয়টি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে সচেতনতা তৈরির জন্য আর এক ধরনের চাপ বজায় রাখার জন্য। "আপনি দেখবেন স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য এবং বিচারের দাবি না তোলার ফলে বিশ্বের কোন না কোন দেশে গণহত্যার ঘটনা ঘটছে, বলছেন তিনি, "এর সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা।" গণহত্যার প্রসঙ্গটিকে যদি বিশ্ব-দরবারে তাজা রাখা যেত, তাহলে এধরনের ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত বলে তিনি বলছেন। তবে মি. আব্দুল্লাহ জানান, বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি নিয়ে তাদের আন্দোলনের নেতারা যখন বিশ্বের নানা দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে, সেই দেশগুলো তখন জানিয়েছে যে দীর্ঘদিন পরে হলেও তারা এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের অপেক্ষা করে আছে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানে অন্তত ৫০,০০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান। এরপর থেকে সে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়। যদিও পাকিস্তান বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এই ব্যাপক হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়টিকে সামনে এনে বাংলাদেশের সরকার গত বছর থেকে ২৫শে মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করে আসছে।
গণহত্যার স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ব্যারাকপুরের ভাটপাড়া এলাকা। এদের মধ্যে একজন ১৭-বছর বয়সী এক কিশোর। গুলির আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও তিনজন। কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় আর বোমাবাজি চলার পটভূমিতে স্থানীয় প্রশাসন ভাটপাড়া আর জগদ্দল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভাটপাড়ায় একটি নতুন থানা উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই শুরু হয় বোমাবাজি। মুহুর্মূহু গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় গাড়ি। একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি হওয়ায় রাস্তাঘাট এখনও জনশূন্য। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বেশ কিছু এলাকায় আইন শৃঙ্খলতাজনিত যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকার সিরিয়াস ভিউ নিচ্ছে। কিছু সমাজবিরোধী আর অপরাধী সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে বহিরাগতও জড়িত আছে।" "এর ফলে স্বাভাবিক জনজীবন আর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ডেসপারেট হচ্ছে। পুলিশের মহানির্দেশক আর সিনিয়ার অফিসারদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স গেছে।" পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-কেন্দ্রীক সহিংসতা নতুন নয়। গত ১৪ই মে কলকাতায় এধরনেরই এক সংঘর্ষ হয়েছিল। (ফাইল ফটো) আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ২৭শে জুন গুলি করে মার্কিন ড্রোন ফেলে দিল ইরান এই সংঘর্ষের জন্য বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়েই পরস্পরকে দোষারোপ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চব্বিশ পরগণার নেতা ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন, "ওই অঞ্চলে নির্বাচনের ফল বেরনোর সন্ধ্যে থেকেই বিজেপি একতরফা ভাবে মারামারি করছে। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও রাজনীতির রঙ না দেখে গ্রেপ্তার করতে - সে বিজেপির নেতাই হোক বা যেই হোক।" দুই দলের এই হানাহানিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৭ বছরের কিশোর রামবাবু সাউ। তিনি ফুচকা বিক্রি করতেন। হাসপাতালে মৃত্যু হয় ধর্মবীর সাউ নামে আরেক ব্যক্তির। এই ঘটনায় ছয় জন পুলিশও আহত হয়েছেন। রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলছেন, "ব্যারাকপুর অঞ্চলের মানুষ অর্জুন সিংকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন, ভাটপাড়া কেন্দ্রের মানুষ তার ছেলে পবন সিংকে জিতিয়েছেন, এই জনাদেশ কিছুতেই মমতা ব্যানার্জী মেনে নিতে পারছেন না। সেজন্যই বারে বারে ভাটপাড়াকে অশান্ত করে তুলছেন পুলিশকে দিয়ে। এর সব দায় দায়িত্ব নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।" পুলিশ অবশ্য বলছে কার গুলিতে ওই দুজনের মৃত্যু হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রাতে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী নির্দেশ দিয়েছেন তিনদিনের মধ্যে ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে হবে। নির্বাচনের আগে থেকেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানা অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিং দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেন আর তাকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়। একই সঙ্গে তার ছেলেকে ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও প্রার্থী করে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এই দুটি ভোটই হয়ে উঠেছিল প্রেস্টিজ ফাইট। কিন্তু বিজেপি দুটি কেন্দ্রেই জিতে যায় বড়সড় মার্জিনে। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই অশান্তি চলছে ওই এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গে আবারও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজী আর গোলাগুলিতে নিহত ২
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশে এ বছর খুলছে না স্কুল চলতি বছরের ১৮ই মার্চের পর থেকে নেয়া অন্য সব ফি হয় ফেরত দিতে হবে বা টিউশন ফি'র সাথে সমন্বয় করতে হবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃ ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি গ্রহণ করবে না।" কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ইতোমধ্যে এ ধরণের ফি গ্রহণ করে থাকে তাহলে তা ফেরত দিতে হবে বা টিউশন ফির সাথে সমন্বয় করবে। এর বাইরেও কোনো ফি নেয়ার পর যদি ব্যয় না করা হয়ে থাকে তাহলে তা ফেরত বা টিউশন ফি'র সাথে সমন্বয় করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের শুরুতে যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে টিফিন, পুনঃ ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন- বা এ ধরণের কোনো ফি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রহণ করতে পারবেনা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো সব যৌক্তিক ফি নেয়া যাবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনার কারণে এ বছর পরীক্ষা হয়নি অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোঃ বেলাল হোসাইন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। "আমরা কিছু খাতের কথা উল্লেখ করে দিয়েছি। এর বাইরেও যদি কোনো ফি নেয়া হয় সেগুলো নেয়া যাবেনা এখন। মাধ্যমিক পর্যাযের সব প্রতিষ্ঠান এখন শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে," বলছিলেন মি. হোসাইন। তবে মাধ্যমিক পর্যায়েরা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এ সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। "এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেতনের শতভাগ পেলেও শিক্ষকরা সব সুবিধা সরকার থেকে পায়না। তাদের কিছু ফি স্কুলের অর্থ থেকে আসে। এখন প্রতিষ্ঠানগুলোই যদি সব ফি না পায় তাহলে তারা শিক্ষকদের কিভাবে দেবে," বলছিলেন মি. ইসলাম। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৩৯,০০০। এসব প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজারের মতো শিক্ষার্থী আছে এবং এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন প্রায় পাঁচ লাখ। এ বছর এরকম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না অন্যদিকে বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে পড়া শিক্ষার্থীর মাত্র ছয় দশমিক তিন শতাংশ সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। অবশিষ্ট ৯৩.৬% শিক্ষার্থী পড়ছে ১৯ হাজার ৮০২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। যশোরের ঝিকরগাছার মাটিকুমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহার আলী বলছেন, অনেক স্কুলে বিশেষ করে গ্রামের দিকের স্কুলগুলোতে টিউশন ফি'র বাইরে আর কোনো ফি এমনিতেও নেয়া হয়না। "তবে কিছু ফি থেকে পাওয়া অর্থ স্কুলের খরচের কাজেই ব্যয় হয়। তবে আমাদের স্কুলে ৪০০ শিক্ষার্থী আছে। টিউশন ফি ছাড়া তাদের আর কিছু দিতে হয়না," বলছিলেন মি. আলী। যদিও নজরুল ইসলাম বলছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খন্ডকালীন শিক্ষক আছে তাদের এখন আর কাজের সুযোগই নেই আবার স্কুলগুলোতে বিদ্যুৎ পানিসহ স্থানভেদে নানা কিছুর বিল বা খরচ আছে। "স্কুল বন্ধ বললেও আসলে শিক্ষক কর্মচারীদের তো সপ্তাহে একদিন হলেও যেতে হয়। পরীক্ষা হচ্ছে ভিন্ন পন্থায়। অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে। এখন স্কুল যদি ফি না পায় এগুলোর সমন্বয় কি করে হবে। আবার শিক্ষকদের বেতনের সাথে স্কুলের যে অংশ আছে সেটিই বা কোথা থেকে আসবে," বলছিলেন মি. ইসলাম। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
বাংলাদেশে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ফি আদায় করা যাবেনা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এই দলে অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সফরসূচি অনুযায়ী, পাকিস্তানে দুটো টেস্ট ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এর আগে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ দলে থাকছেন না বলে ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম । শুক্রবার বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুশফিকুর রহিম এ মর্মে বিসিবিকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিনবার পাকিস্তান যাবে এবং তিনটি টি২০, একটি ওডিআই এবং দুটি টেস্ট খেলবে। টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে লাহোরে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৭শে জানুয়ারি। পরের মাসে ৭ই ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে প্রথম টেস্ট । এর পর করাচিতে ৩রা এপ্রিল হবে একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, এবং ৫ই এপ্রিল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে বাধা নিরাপত্তা নাকি রাজনীতি? বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে জটিলতায় ভারতের ভূমিকা আছে? পাকিস্তান সফরে যাবেন না মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর আগে বলেছিল, বাংলাদেশ শুধু টি-২০ আন্তর্জাতিক খেলতে পাকিস্তান সফর করতে আগ্রহী, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই মুহূর্তে তারা পাকিস্তানে টেস্ট খেলার জন্য দীর্ঘ সফরে যেতে রাজি নয়। বিসিবি ঘোষিত বাংলাদেশ দলে আরো যারা থাকছেন তারা হলেন, তামিম ইকবাল খান, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন, হাসান মাহমুদ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: লিবিয়ার পরিস্থিতি এতো জটিল হলো কিভাবে? সামরিক বাহিনীর পক্ষে খামেনির সাফাই পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গ মরে গেলে কী হবে?
ক্রিকেট: পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পিনাকী ভট্টাচার্য পিনাকী ভট্টাচার্যের বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য উত্তরাঞ্চলীয় বগুড়া শহরের একজন সাবেক শিক্ষক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে তিনি বলেন, গত ৫ই আগস্ট তারা সবাই মিলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে নেত্রকোণা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর দিন থেকেই তার সাথে কোন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, পিনাকী সম্প্রতি নিজেই ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন যে পরদিন তিনি অফিসে থাকার সময় বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একজন তাকে ফোন করেন। "তাকে বলা হয়, আপনি আমাদের এখানে আসুন, আপনার সাথে কিছু কথা আছে। পিনাকী জবাব দেয়: আপনারাই বরং আমার অফিসে চলে আসুন, আমি খালি আছি" - জানান মি. ভট্টাচার্য। "এর পর তারা আসার আগেই পিনাকী অফিস থেকে নেমে বেরিয়ে যায় এবং তার পর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সে আর বাড়ি ফেরে নি।" - বলেন তিনি। "এর পর আমি আতঙ্কিত হয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে আমি একটি চিঠি লিখি, তার সন্ধান এবং নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি।" মি. ভট্টাচার্যের এ আবেদনের খবর রবিবার দৈনিক পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। পিনাকী ভট্টাচার্যে পরিবারের অন্য সদস্যরা বলছেন, ৬ই আগস্ট বিকেলে সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর পরিচয় দানকারী দু'জন লোক পিনাকীর কর্মস্থল একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির অফিস ও বাসায় যান এবং তিনি কোথায় গেছেন তা জানতে চান। নিখোঁজ হবার প্রায় ৫ দিন পর শনিবার ফেসবুকে পিনাকী ভট্টাচার্য একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি তার পিতার বিবৃতির উল্লেখ করে বলেন, এতে তার 'প্রকৃত অবস্থা বিধৃত হয়েছে।' তবে তিনি 'এখনো নিরাপদে এবং সুস্থ আছেন' বলে জানান। ফেসবুকের ঐ পোস্টে পিনাকী ভট্টচার্য আরো লেখেন - "যারা আদালতের নির্দেশ ছাড়া, ওয়ারেন্ট ছাড়া আমাকে তাদের অন্ধকার অফিসে ঢুকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। ধরে নিয়ে যাবার জন্য আমার কর্মস্থলে আর বাসায় খোঁজ করতে আসেন। যারা হয়তো আমাকে গুম করে ফেলতে চান, ...তারা মনে রাখবেন আমারও সন্তান আছে।" বিবিসি বাংলায় আরো দেখুন: নিখোঁজ ব্যক্তিরা ফেরার পর চুপ থাকেন কেন? নিখোঁজের পরিবার কতটা আইনী সহায়তা পাচ্ছে? পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক পাতা তিনি বলেন, "আমাকে কেন ডি.জি.এফ.আই খুঁজবে? ডি.জি.এফ.আই-এর কাজ কি? যে ভদ্রলোক সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে ফোন করে তাদের অফিসে যাবার জন্য আমাকে ডেকেছেন, তার কথোপকথনের অডিও রেকর্ড আমার কাছে আছে। অভিন্ন মেজরের পরিচয়েই আমার বাসায় এবং কাজের জায়গায় আমার খোঁজে যাওয়া হয়েছিল।" এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তার পিতা শ্যামল ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে বলেন, এসব স্ট্যাটাস দেখে তিনি অন্তত এতটুকু নিশ্চিত হয়েছেন যে তার ছেলেকে কেউ ধরে নিয়ে যায় নি, তিনি আত্মগোপন করে আছেন। তিনি আরো বলেন, সম্ভবত কাউকে ফোন করলেই তার অবস্থান জেনে ফেলবে এ ভয়েই তিনি কোথাও ফোন করছেন না, এমন কি তার স্ত্রীকেও তিনি ফোন করেন নি। পিনাকী ভট্টাচার্য একাধিক বইয়ের লেখক, এবং ফেসবুকে একজন সক্রিয় এ্যাকটিভিস্ট - সমকালীন রাজনীতি ও সমাজ বিষয়ে যার বিভিন্ন মন্তব্য বেশ ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। সম্প্রতি নিরাপদ সড়কের দাবিতে বাংলাদেশের স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীদের কয়েকদিনব্যাপী বিক্ষোভ নিয়েও তিনি একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ‘সূর্য অভিযানে’ রওনা হলো নাসার নভোযান নিষেধাজ্ঞা উঠছে আশরাফুলের: দলে ফিরতে পারবেন? নিরাপদ সড়ক:শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব বাধার মুখে পুলিশ
ফেসবুক এ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের পাঁচ দিন ধরে খোঁজ নেই
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সহিংসতায় আহত একজন নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে এবং পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের কাছে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। জবাবে পুলিশ কর্মকর্তারা স্টান গ্রেনেড এবং জল কামান ব্যবহার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে যে উত্তেজনা চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনের মতো এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদের কাছে সহিংসতায় দুইশ জনের বেশি ফিলিস্তিনি এবং অন্তত ১৭ জন ইসরায়েলি পুলিশ আহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশ জানিয়েছে। আরও পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জেরুজালেমে কেন প্রার্থনার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে দ্বিতীয় রাতের মতো জেরুজালেমে পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতা চলেছে, যাতে বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র, কিন্তু সেটি এলাকাটি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদেরও একটি তীর্থস্থান, যাকে টেম্পল মাউন্ট বলা হয়। এই এলাকায় প্রায়ই দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে শুক্রবারের সহিংসতা ছিল এই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্র। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় যেসব দেশ ভূমিকা রাখে, সেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ এই সহিংসতার ব্যাপারে 'গভীর উদ্বেগ' জানিয়েছে। সর্বশেষ যা ঘটেছে শনিবারের সহিংসতার শুরু হয় জেরুজালেমের দামেস্ক গেটে যখন ইসলাম ধর্মের পবিত্র রাত লাইলাতুল আল-কদর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসলমান আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এর আগে শনিবার মসজিদ অভিমুখে নামাজীদের নিয়ে যাওয়া অনেক বাস আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবারের সহিংসতার কারণে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ''তারা আমাদের নামাজ পড়তে দিতে চায় না। সেখানে প্রতিদিনই লড়াই করতে হচ্ছে, প্রতিদিনই সহিংসতা হচ্ছে। প্রতিদিনই সেখানে সমস্যার তৈরি হচ্ছে,'' রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন সাতাশ বছরের মাহমুদ আল-মারবুয়া। মুসলিম ও ইহুদি উভয় ধর্মেরই পবিত্র স্থান বলে পরিগণিত আল-আকসা মসজিদের সামনে মোতায়েন করা ইসরায়েলি পুলিশ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সবার প্রার্থনা করার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে তার দেশ। তবে একে ইসরায়েলের 'পাপীদের আক্রমণ' বলে অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস। সহিংসতার পেছনের কারণ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো শহরকে তারা নিজেদের রাজধানী বলে মনে করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ তাতে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পূর্ব জেরুজালেম হবে তাদের স্বাধীন দেশের রাজধানী। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছে যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয় এবং ''বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়''। জোর করে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে আরব লীগ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলার বিষয়ে সোমবার একটি শুনানি করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে ফেরিঘাটে জনস্রোত ঠেকাতে রবিবার থেকে বিজিবি মোতায়েন ভারতের কোভিড সংকটের ধাক্কায় মোদী ব্র্যান্ডের কতটা ক্ষতি হলো করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পেলে কী হবে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো বাংলাদেশে
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল: জেরুজালেমে দ্বিতীয় রাতের মতো সহিংসতায় বহু আহত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গুলশানে এক তরুনীর কথিত আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সাথে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের জড়িত থাকার অভিযোগ আসায় এনিয়ে আরো বেশি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আদান-প্রদানের স্ক্রিনশট, টেলিফোন কথোপকথনের কথিত রেকর্ড এবং ভিকটিমের ডায়েরির নানা কথা ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে সামাজের একটি বড় অংশ নানা ধরণের অনুমান এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখে কি না? এছাড়া আদালতের কাছে এসব তথ্যের গুরুত্ব কতটা? পুলিশর সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, এসবের মধ্যে কিছু ক্লু (সূত্র) যদি পাওয়া যায় তাহলে সেটি পুলিশকে অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে। "কোন ভিডিও বা ইন্টারনেট-ভিত্তিক কোন তথ্য যদি সামনে আসে সেগুলোকে তদন্তের জন্য যাচাই-বাছাই করাটা খারাপ কিছু না। পুলিশ যা কিছু পাক না কেন, সবকিছুই যাচাই-বাছাই করার চেষ্টা করে," বলেন মি. রহমান। কিন্তু এসব তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি তদন্তের গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হয়, সেক্ষেত্রে তদন্তে সমূহ ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে খুব বেশি চাপ যদি থাকে, সেক্ষেত্রে তদন্তে এক ধরণের বাধ্যবাধকতা তৈরি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশিত অনেক তথ্য পুলিশকে তদন্ত কাজে সহায়তা করতে পারে। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে সেটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা তদন্তের নানা দিক নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন বা চ্যালেঞ্জ করতে পারে। মোখলেসুর রহমান বলেন, যারা সাক্ষ্য দিতে পারবেন, শুধু তাদেরই সাক্ষী আদালতের সামনে গ্রহণযোগ্য হবে। যেটা সাক্ষ্য আইন সমর্থন করবে না সেটা আদালত নেবে না। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতে সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদপত্রের ভাষ্য বাংলাদেশের সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খুব সীমিত ক্ষেত্রে এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে কখনো কখনো এগুলো আদালত গ্রহণ করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইরানের সাথে ভালো সম্পর্ক চান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ‘আত্মহত্যার’ মিডিয়া কভারেজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ভয়াল সে রাতের কথা কর্মকর্তারা বলছেন, কোন একটি ঘটনায় বেশিরভাগ মানুষ যদি এক পক্ষে কথা বলতে থাকে, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে দোদুল্যমানতা তৈরি হওয়া অসম্ভব নয়। তদন্ত হলেই ঘটনার সমাপ্তি নয়। এরপর বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আছে। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর আদালত সন্তুষ্ট না হলে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। বিচারের ক্ষেত্রে বাধা হয় বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথন স্ক্রিনশট এবং টেলিফোনের কথোপকথন আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। "যদি কোন ডায়েরি থাকে যেটা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে," বলছেন মি. মোরশেদ। তিনি বলেন, পুলিশ যদি কোন ব্যক্তির টেলিফোন রেকর্ড করে সেটি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করতে চায় তাহলে আদালতের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। সরাসরি কারো টেলিফোন আলাপ রেকর্ড করে আদালতে উপস্থাপন করা আইনের মধ্যে পড়বে না। "আদালতের কাছে কোন কথোপকথন উপস্থাপন করা হলে আদালত জিজ্ঞেস করবে এটা কোথা থেকে এসেছে। এর কোন বৈধতা আছে কি না সে প্রশ্ন উঠবে। যেটাই আদালতে উপস্থাপন করা হবে সেটার একটা বৈধতা থাকতে হবে।" কেস ডায়েরির মধ্যে যে বিষয়গুলো আলামত হিসেবে আসবে সেগুলো প্রমাণ সাপেক্ষে আদালত গ্রহণ করবে। আইনজীবী মি. মোরশেদ বলেন, "কোন মামলায় তদন্তকারী যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে সঠিক তদন্ত করা যায় না। এসব ঘটনা আমাদের বিচার বিভাগের জন্য মারাত্মক একটা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।" কোন মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ যদি কিছু জব্দ করে তখন সেটি গোপন বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি যখন সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা বা টেলিভিশনে চলে আসে তখন তদন্ত প্রভাবিত হয়। " সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিষয়টা ফোকাস হয়, সেখানেই থাকতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। এর বাইরে তারা যেতে পারে না। মিডিয়া ট্রায়াল বিচারকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে," বলেন মি. মোরশেদ।
বসুন্ধরা এমডি: হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, টেলিফোনের রেকর্ড-মেসেজ তদন্ত ও বিচারে কতটা সাহায্য করবে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
স্টিভেন ক্যামেরন। ভিয়েতনামের ডাক্তাররা তাকে ‘এশিয়ার সবচেয়ে অসুস্থ কোভিড রোগী‘ হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন মি ক্যামেরনের শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে ঢোকানো হয়। দু মাসেরও বেশি সময় তিনি সেখানে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন। “আমার দেহের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। শরীরের দুটো প্রত্যঙ্গ কাজ করছিলো না। ফুসফুসের ক্ষমতা এক পর্যায়ে ১০ শতাংশে নেমে গিয়েছিল,“ বিবিসিকে বলছিলেন স্টিভেন ক্যামেরন। তার শরীরের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ভিয়েতনামের সরকার, চিকিৎসক সমাজ থেকে শুরু করে সেদেশের মিডিয়া পুরো সময়টি ধরে তার ওপর নজর রেখেছিল। “আমাকে বলা হয়েছিল আমি এশিয়ার সবচেয়ে অসুস্থ রোগী হয়ে পড়েছিলাম।“ করোনাভাইরাস প্যানডেমিক চলাকালে স্টিভেন ক্যামেরনের মতো এত জটিল কোভিড রোগী ভিয়েতনামের ডাক্তারদের সামলাতে হয়নি। ৪২ বছর বয়সী এই স্কটিশ নাগরিক ভিয়েতনামে রোগী-৯১ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। তার ডাক্তাররা বলছেন, বেঁচে গেলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে তাকে বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ‘ভুলেও হেলাফেলা করবেন না‘ মি. ক্যামেরন এখন মানুষকে সাবধান করেন, ভুলেও যেন তারা এই ভাইরাসকে হেলাফেলা না করেন। “এই ভাইরাস যে কতটা ভয়ঙ্কর আমি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ,“ স্কটল্যান্ডে একটি হাসপাতালের বেড থেকে বিবিসিকে বলেন তিনি। “এই ভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মানুষ যেন কখনই এটাকে হেলাফেলা না করে।“ হো চি মিনের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে দুই মাসেরও বেশি সময় অচেতন ছিলেন স্টিভেন ক্যামেরন যেদেশ থেকে তিনি বেঁচে ফিরেছেন, সেই ভিয়েতনাম এতটাই সতর্ক ছিল যে এখনও একজনও সেখানে কোভিডে মারা যায়নি। কিন্তু সেখানকার উপকূলীয় শহর দা নাং-এ দুদিন আগে চারজন কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৮০হাজার পর্যটককে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর প্রস্তুতি চলছিল মি. ক্যামেরন যতদিন অচেতন ছিলেন, অধিকাংশ সময় তাকে ‘একমো‘ নামে বিশেষ একটি যন্ত্রের সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখা হয়। রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হলেই এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে তাতে অক্সিজেন মিশিয়ে আবার তা শরীরে ঢোকানো হয়। “এক পর্যায়ে আমার বন্ধু ক্রেইগ (ব্রিটিশ) পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানায় আমার বাঁচার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ। সে আমার অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়ার চুক্তি বাতিল করে দেয় , এবং আমার শবদেহ নিয়ে কী করবে তার পরিকল্পনা করতে শুরু করে দেয়,“ জুন মাসে হো চি মিন-এর হাসপাতাল থেকে বিবিসিকে বলেছিলেন স্টিভেন ক্যামেরন। খুব অল্পের জন্য দ্বিতীয়বারের মত ফুসফুস বদলানোর হাত থেকে রক্ষা পান মি. ক্যামেরন। এক পর্যায়ে তার শরীরের একাধিক যন্ত্র কাজ করছিলোনা। ‘ভিয়েতনামের কাছে আমি কৃতজ্ঞ‘ কিন্তু মি. ক্যামেরন মনে করেন তার সৌভাগ্য যে তিনি ভিয়েতনামে অসুস্থ হয়েছিলেন। কারণ সাড়ে নয় কোটি মানুষের দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪২০ জন কোভিড রোগী সেখানে শনাক্ত হয়েছে। খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে ইনটেনসিভ কেয়ারে নিতে হয়েছে, এবং এখনও একজনও মারা যায়নি। “পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় এমন অসুস্থ হলে আমি মারা যেতাম। তার ৩০ দিন পরেই ভেন্টিলেটরের সুইচ অফ করে দিত।“ ভিয়েতনামের চো-রে হাসপাতালে অচেতন স্টিভেন ক্যামেরনকে খাওয়ানো হচ্ছে। তার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ১০ শতাংশে নেমে যায় “ভিয়েতনামের মানুষ আমাকে যেভাবে তাদের হৃদয়ে জায়গা দিয়েছে, আমি তার জন্য ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ডাক্তাররা কোনোভাবেই চাননি যে আমি তাদের চোখের সামনে মারা যাই। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।“ ‘এ যেন একের পর এক আলট্রা ম্যারাথন দৌড়ানো‘ স্কটল্যান্ডে ফেরার পর তার ফলো-আপ চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন শ্বাসযন্ত্র রোগের বিশেষজ্ঞ ড. মনিশ প্যাটেল। তিনি বলছেন মি. ক্যামেরন যে এত দীর্ঘ সময় ধরে অচেতন থাকার পরও প্রাণে বেঁচেছেন - সেটা ‘খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা।‘ “মানুষ বলে ইনটেনসিভ কেয়ারে ঢোকা মানে ম্যারাথন রেস শুরু। সেই বিচারে স্টিভেন কয়েকবার আলট্রা-ম্যারাথন রেস দিয়ে এসেছেন,“ বিবিসিকে বলেন ড.প্যাটেল। হো চি মিনের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে থাকার সময় দু মাসেই তার শরীরের ওজন ৩০ কেজি কমে যায়। স্কটল্যান্ডে তার শরীরের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চললেও এখনও তিনি হাঁটতে পারছেন না। ভিয়েতনামের ডাক্তাররা স্টিভেন ক্যামেরনের (রোগী-৯১) স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন “আমি যখন প্রথম চেতনা ফিরে পেলাম আমার ভেতর আতঙ্ক এস ভর করে - আমি কি আর কখনো হাঁটতে পারবো! আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার প্যারালাইসিস হয়েছে কিনা, কারণ আমি পায়ে কোনো সাড় পাচ্ছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল আমি বোধ আর কখনই বিমান চালাতে পারবো না,“ বলেন মি ক্যামেরন। তার এখন লক্ষ্য আগামী বছরের শুরুতে আবার বিমান চালানো। কিন্তু তার শরীরের অবস্থা তার পাইলট পেশাকে গভীর ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। নতুন সংক্রমণ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবচেয়ে সফল দেশগুলোর অন্যতম ভিয়েতনাম। তবে এ সপ্তাহে পর্যটন শহর দা নাং-এ নতুন করে চারজন কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে কেউ এসে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনো নেই। ফলে সেটি ভিয়েতনামের সরকারের জন্য একটি দুঃসংবাদ, বলছেন ব্যাংককে বিবিসির জনাথন হেড। তিনি বলেন, দা নাং এ কম্যুনিটি সংক্রমণ ছড়ানোর আশংকা দেখা দিয়েছে। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী দা নাং শহরে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ দিয়েছে। জরুরী নয় এমন সমস্ত সেবা বন্ধ করা হয়েছে। ১৪ দিনের জন্য ঐ শহরে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে এখনও দা নাং শহরটি পুরোপুরি লকডাউন করা হয়নি। জনাথন হেড বলছেন, কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবেলায় একদম শুরু থেকেই ভিয়েতনামের কম্যুনিস্ট সরকার খুবই তৎপর ছিল। যেখানেই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, পুরো কম্যূনিটিকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। তবে পাশের দেশ থাইল্যান্ডের মতই ভিয়েতনামও দ্রুত গণহারে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি। বদলে, এই দুই দেশই কম্যূনিটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সীমান্তে কড়াকড়ির পথ নিয়ে ভাইরাস মোকাবেলার পথ নেয়, যদিও দুটো দেশের অর্থনীতিই পর্যটনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। আরো পড়তে পারেন: রহস্যময় টি-সেলই কি কোভিডের বিরুদ্ধে আসল সুরক্ষা? অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস টিকা "নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধে সম্ভাবনাপূর্ণ"
করোনাভাইরাস: ‘আমি ছিলাম এশিয়ার সবচেয়ে অসুস্থ কোভিড রোগী‘
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
প্রাইভেট প্র্যাকটিস সংক্রান্ত বিষয়টি একটা নিয়ম-নীতির মধ্যে আসা দরকার বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। গ্রীন রোড এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এ অভিযোগ এনে একজন ডাক্তারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এরপর ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন বা বিএমএ একদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিসের প্রবণতার কারণ কী? এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "প্রাইভেট প্র্যাকটিসের কারণ হিসেবে কিছু অর্থকড়ির ব্যাপার আছে, যে সময়টা তারা অবসর থাকবেন তখন প্রাইভেট প্রাকটিস করবেন"। তিনি বলেন, "এতে রোগীদেরও উপকার হয়। সরকারি হাসপাতালে অসম্ভব রকমের ভিড় থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতাল কম, অনেকেই সেখানে ডাক্তার দেখাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তিনি যদি অবসর সময় রোগী দেখেন সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগীরা মূল্য দিয়ে সেই সেবাটা নিলো । সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা দোষের কিছু না। তবে জিনিসটা একটা নিয়ম নীতির মধ্যে আসাটা ভাল"। মিস্টার ফারুক বলেন, সরকারি চিকিৎসকরা প্রায় সবাই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। আবার অনেক ডাক্তার করেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে "এটা দরকার। কারণ চিকিৎসক স্বল্পতা বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটা অভাব রয়ে গেছে"। অধ্যাপক ফারুক বলেন, "স্বাস্থ্য-নীতিতে এ পয়েন্টটাকে ভালোভাবেই অ্যাড্রেস করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল বিকেল বেলা অবসর সময়টাতে ডাক্তার সাহেবরা বসবেন এবং চেম্বারের চেয়ে কম বেতন নেবেন। এর একটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয় পাবে এবং অংশ চিকিৎসকরা পাবেন"। বিভিন্ন সময় গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় কাজের কথা বলা হলেও, অনেক চিকিৎসক শহরাঞ্চলেই থাকতে চান। সে অভিযোগ কতটা সত্যি জানতে চাইলে বিবিসি বাংলার সাইয়েদা আক্তারতে অধ্যাপক ফারুক বলেন সেটা কিছুটা সত্যি। কিন্তু অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকায় যান কিন্তু সেখানে বসবাসের সুবিধা সেরকম না থাকায় তারা নিকটবর্তী অন্য এলাকায় থাকতে বাধ্য হন বলে তিনি জানান। ডাক্তারের যেহেতু স্বল্পতা আছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং সরকার যৌথভাবে একটা নীতিমালা করতে পারে। এরসাথে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকেও সম্পৃক্ত করা যেতে পারে, অভিমত ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের এ শিক্ষকের ।
বাংলাদেশে চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস কেন করেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
যানজট ঢাকার প্রতিদিনকার চিত্র জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন ছিল তার ঐ রোগীর। কিন্তু যিনি রক্ত দিবেন তাকে জোগার করা গেলেও সময়মত পৌঁছাতে পারেননি তিনি। কারণ কি? সায়মা বলছিলেন ঐ সময়ে ঐ রাস্তা দিয়ে কোন একজন ভিআইপি যাওয়ার কথা থাকায় রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। তিনি বলছিলেন, "ঢাকার সরকারি হাসপাতালে যদি কোন ভিআইপি যায় তাহলে তার প্রটোকল এত জোরদার করা হয় যে অন্য রোগীরা ঢুকতে পারেন না। এমনকি মরণাপন্ন রোগিরাও এম্বুলেন্সে থাকতে হয়। আমার রোগীর রক্তদাতা পৌঁছাতে পারিনি। মারাত্মক অবস্থা তৈরি হয় পরে আমরা অন্যভাবে ম্যানেজ করি।" ঢাকার আরেকজন শিক্ষার্থী সুলতানা রহমান থাকেন ঢাকার মিরপুরে। তিনি বলছিলেন, ভিআইপি চলাচলের সময় রাস্তা বন্ধ থাকায় তাকে পরীক্ষার হলে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান। তিনি বলছিলেন, সেই ক্ষতি তিনি শিক্ষাজীবনের আর কখনোই পুষিয়ে নিতে পারেন নি। সেটা আরো বাড়ে যখন কোন ভিআইপি রাস্তায় চলাচল করেন আরো পড়তে পারেন: রোগীকে বেশি ঔষধ দেয়া ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট আইসিসি’র শাস্তি: জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত ডিজিটাল যুগের মোহ কতটা ক্ষতিকর? তিনি বলছিলেন "দশটার পরীক্ষার জন্য সকাল সাতটায় বের হয়েছিলাম। কিন্তু কোন একজন ভিআইপি জন্য আমিসহ অনেকেই সেদিন একঘণ্টা পরে পরীক্ষার হলে যায়। যে ক্ষতি আজও মেটাতে পারিনি। একটা বিশেষ পদের জন্য তারা বিশেষ সুবিধা পান এটা ঠিক। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে একটা সুবিধা নিয়ে অন্য দশজনের অসুবিধার কারণ হতে পারি না। সেখানে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তারা কিভাবে পারেন?" বাংলাদেশে ভিভিআইপি যেমন প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথি, ভিআইপির মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী,এমপি এবং সেই পদমর্যাদার অসংখ্য ব্যক্তি। এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রপ্তানি এবং ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সিআইপি হিসেবে মনোনয়ন পান প্রতিবছর। বাংলাদেশে প্রশাসনিকভাবে কতজন এই ভিআইপির সুবিধা পান তার সঠিক হিসেব দিতে পারেন নি কর্তৃপক্ষ। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এই ১০ বছরে ১২৩৮ জনকে সিআইপি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আর এই ভিআইপি এবং সিআইপির সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। কি ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা? প্রশাসনের পক্ষে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ বলছিলেন, ভিআইপিরা গাড়ী, বাড়ী/ ফ্ল্যাট এবং পুলিশি সুরক্ষা পেয়ে থাকেন। এছাড়া সড়ক, নৌ এবং বিমান পথে যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ভিআইপিদের বিশেষ সুবিধা যেটা ভিআইপি কালচার বা সংস্কৃতি নামে লোক মুখে পরিচিত সেটার কারণে চরম দুর্ভোগে পরেন সাধারণ মানুষ। সমস্যগুলোর মধ্যে প্রতিদিন যেটার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় সেটা হল ঢাকার রাস্তায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশে ভিআইপি কালচার বহু পুরনো। তবে সেই সংস্কৃতি এখন পুনমূল্যায়ন করার সময় এসেছে কিনা সেটাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছিলেন, জনদুর্ভোগের সাথে সাথে ভিআইপিরা যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন সেগুলোর অপব্যবহার করার সুনির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছিলেন "এমপিরা গাড়ী আমদানির সুযোগ পেয়ে থাকেন বিদেশ থেকে। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় এটার ব্যাপক অপব্যবহার হয়। শুল্ক-বিহীন আমদানির ফলে পাওয়া গাড়ি কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে কোন অন্তত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষতিয়ে দেখা হয়নি। যে বাড়ি পেয়ে থাকেন সেখানে তারা থাকছেন না। এখানে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে এবং নিয়মের ব্যত্যয় হচ্ছে"। তিনি মনে করেন, বিমানবন্দরে ভিআইপিরা তাদের জন্য নিরাপত্তা চেকিং না যে রাখারা প্রস্তাব করেছিলেন সেটাও নিয়মের বাইরে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে ঢাকার কোন কোন বাসিন্দা মনে করেন ভিআইপিদের এই সুযোগ সুবিধাগুলো কমিয়ে দেয়া উচিত যাতে করে তাদের দৈনন্দিন জীবনের দুর্ভোগ কিছুটা কমে। সাবরিনা সুলতানা মনে করেন করদাতাদের অর্থে ভিআইপিরা সুযোগ ভোগ করেন যেটা জনগণের কোন সুবিধা দেয় না একজন নারী বলছিলেন "ওনারা আমাদের প্রতিনিধি, আমরা ট্যাক্স পে করছি, এনারা এটা থেকেই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা ট্যাক্স পে করছি যাতে করে আমরা কিছু সুযোগ-সুবিধা পাই নাগরিক হিসেবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আমি মনে করি এব্যাপারে অবশ্যই তাদের সুযোগ সুবিধা যেগুলো পাচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয় উচিত।" আরেকজন পথচারী বলছিলেন "মন্ত্রী হওয়ার আগে তারাও সাধারণ মানুষ ছিল। জ্যামের সাথে সবাই পরিচিত আমরা। তাই মন্ত্রী এমপি হওয়ার পর তারা দুর্ভোগ পোহাবে না এটা মানতে পারি না। আমরা সাধারণ জনগণ যদি তাদের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকি তাদের সেই বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত। তাদের উচিত সাধারণ মানুষের মত জ্যাম ঠেলেই রাস্তায় যাতায়াত করা।" ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র ভিভিআইপিদের রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাস্তার একপাশ ফাঁকা করে দেয়ার নিয়ম আছে। তাসনিয়া ইনাম মনে করেন ভিআইপিদের সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করা উচিত আর কোন ভিআইপির জন্য রাস্তা ফাঁকা করে দেয়ার নিয়ম নেই। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার নজির আছে বাংলাদেশে। দেশব্যাপী ব্যাপক সংখ্যায় যে প্রশাসনিক ভিআইপিরা রয়েছেন তাদের প্রোটকলের বিষয়টি দেখেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সাথে আমি কথা বলেছিলাম মানুষের এই দুর্ভোগের বিষয় নিয়ে। তিনি বলছিলেন, "মন্ত্রীরা কোন আলাদা সুবিধা নেন না। তারা একটা প্রটেকশন গাড়ী, এবং গানম্যান নেন। তাদের রাস্তা বন্ধ করার নিয়ম নে। এটা শুধু ভিভিআইপিদের জন্য আছে সেটা এসএসএফ আইন।" প্রশ্ন: অনেক সময় দেখা গেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী গাড়ী উল্টা দিক দিয়ে যাচ্ছে.. উত্তর: এটা গত ছয়মাসে আপনি কি দেখেছেন? দেখেননি। এমনি কোন নিয়ম নেই। প্রশ্ন: সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যাপারে কি বলবেন? উত্তর: এখানে বাড়ি বা গাড়ী অপব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই এর বাইরে বাংলাদেশে অনেকেই নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য গানম্যান রাখেন। সেই ক্ষেত্রে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জানাতে হয়। উল্লেখিত ব্যক্তির রিস্ক বা জীবনের হুমকি বিবেচনা করে অনুমোদন দেয়া হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছিলেন, বাংলাদেশে এখন সময় এসেছে ভিআইপি কালচার পুনমূল্যায়নের। তিনি বলছিলেন, "দুটি কারণে এটা পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। একটা হল অপব্যবহার হচ্ছে, অন্যটা হল জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। এবং বোঝাটা জনগণকেই বইতে হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটাকে জনগণের মতামত নিতে হবে কারণ ব্যয়ের বোঝাটা তাদের বইতে হয়। এটা হলে বোঝা যাবে কতটা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আদৌ দরকার আছে।" গতবছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জরুরি সেবা এবং ভিআইপিদের গাড়ি চলাচলের সুবিধার জন্য সড়কে আলাদা লেন তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিল মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। কিন্তু যেখানে ঢাকার তীব্র যানজটে নগর জীবন যখন থমকে যাচ্ছে, সে সময় ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করার প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবং এর বাস্তবায়নের আর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের জনদুর্ভোগ কমাতে কি ভিআইপি সংস্কৃতি পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
স্পেনের বিল্ডিংয়ের বারান্দা পার হচ্ছেন এক ব্যক্তি ব্রিটেনের সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হলো লাফ দিয়ে মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়া। স্পেনে ভ্রমণকারীদের অনেককেই দেখা যায়, তারা হঠাৎ করে ঝুঁকি নিয়ে ভবনের বাইরের অংশ দিয়ে এক অ্যাপার্টেমন্টের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে অন্য অ্যাপার্টেমন্টে প্রবেশ করছে। এতে করে প্রায়ই মৃত্যুর মুখে পড়ছে পর্যটকরা। এ প্রসঙ্গে স্পেনের স্থানীয় ট্রাভেল সংস্থা 'আবটা' জানাচ্ছে, বর্তমানে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত যত দুর্ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বা আহত হওয়া। তবে সেখানকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ব্রিটিশ নাগরিক মদপান করে বা মাদক নিয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক বারান্দা থেকে অন্য বারান্দায় লাফ দেয়ার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসের শুরুতে স্পেনে এক ব্রিটিশ নারী পর্যটকের মৃত্যু হয় বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে।
স্পেনে 'বারান্দায় লাফ দেয়া'র বিষয়ে ব্রিটিশদের সতর্ক করলো কর্তৃপক্ষ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জাতীয় হকি চ্যাম্পিয়নশিপে এবারের মতো গোল বন্যা আর কখনো দেখা যায়নি (ফাইল ফটো) আর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) চীফ হকি কোচ মোঃ কাওসার আলী একে বর্ণনা করলেন রক্তাক্ত ঘটনা হিসেবে। ঘরোয়া হকিতে রেকর্ড গড়ে কয়েকদিন আগে নৌবাহিনীর হকি দল ৩১ গোল দিয়েছিল গাজীপুরের পোস্টে। এরপর নড়াইলকে ৪৩ গোলের বন্যায় আবার ভাসিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে সেই নৌবাহিনীর দল। আরেকটি ম্যাচে খুলনার পোস্টে ২৭ গোল দিয়েছে বিমানবাহিনী। বিপক্ষের দলগুলো কোন গোলেই দেখা পায়নি। আর মেহেরপুরের বিপক্ষে গাজীপুরের জয়ের ব্যবধান ৬-১ গোলে। বিকেএসপির হকির চীফ কোচ মোঃ কাওসার আলী অনেকটা ব্যাঙ্গ করেই বললেন, ''এটা তো খুশির খবর, সবাই আমরা খুশিতে উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি।'' একটি হকি টুর্নামেন্টের ম্যাচে এরকম গোল হওয়া কতটা স্বাভাবিক ঘটনা? জানতে চাইলে মি. আলী বলছেন, ''হকি খেলায় যদি দুই দলে মানের মধ্যে বড় পার্থক্য থাকে অর্থাৎ একটি কম রেটেড হয়, তাহলে এরকম গোল হবে।'' তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ''একটা দল দুর্বল, আর আরেকটা শক্তিশালী হলেই এতগুলো গোল হবে। যদিও ফুটবলে এমনটা হবে না।'' তিনি বলছেন, ''যে দলগুলো এসেছে, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের ঠিকমত প্রশিক্ষণ নেই, তারা কৃত্রিম টার্ফে কখনো খেলেনি। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের এ ধরণের টুর্নামেন্টে খেলারও কোন অভিজ্ঞতা নেই।'' ''অন্য দলগুলোর যে পারফর্মেন্স, তাতে এত ঘাটতি রয়ে গেছে যে এটা দেখে আমার মনে হয় এটা হচ্ছে রক্তাক্ত হকি'', বলছেন শীর্ষ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই কোচ। হকি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলা পর্যায়ের দলগুলোকে আনার আগে আরো বাছাই আর প্রশিক্ষণ দরকার ছিল তাঁর পরামর্শ, এই দলগুলোকে আগে বাছাই করে, বিভাগীয় পর্যায়ে খেলে সেখান থেকে ভালো দলটিকে প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসা উচিত ছিল। কাওসার আলী বলেন, ''দল সংখ্যা ৩২টি এখন - সেটি হয়তো খুশির খবর। কিন্তু দুঃখের খবর হলো এখন যা ঘটছে, তাই - ৪৩ গোল, ৪০ গোল।'' ''একটি দল তিন খেলায় শত গোল পূর্ণ করলো, আমার মনে হয় হয়তো গিনেস রেকর্ড এটা। তবে এটা আমাদের জন্য মোটেই আনন্দের খবর না'', বলছেন মি. আলী। ঢাকার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে হকির এই টুর্নামেন্টটি হচ্ছে। সেখানে রয়েছে সিনথেটিক টার্ফ, যা এই গোল বন্যারও অন্যতম একটি কারণ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। কাওসার আলী বলছেন, ''বাংলাদেশে এরকম মাঠ মাত্র দুইটি রয়েছে। ফলে জেলা থেকে আসা বেশিরভাগ হকি খেলোয়াড় এরকম মাঠ দেখেননি, খেলা তো দূরের কথা। সব মিলিয়ে একেকটি দলে হয়তো দুই চারজন ভালো খেলোয়াড় রয়েছে, কিন্তু মাত্র কয়েক জনকে দিয়ে দল সামলানো যায় না।'' প্রতিযোগিতায় এতো গোলের কারণে তিনি নিজেও শঙ্কিত বলে জানান এই হকি কোচ। তিনি বলেন, ''মানুষজন যেভাবে আমাদের টিটকারি করছে, হকি খেলাটাকে তারা যেভাবে চিন্তা করেছিল, সেখান থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা আমার কাছে একটা বেশ কষ্টদায়ক ব্যাপার।''
বাংলাদেশে হকির 'রক্তাক্ত' চ্যাম্পিয়নশিপ: গোলের বন্যা, নাকি সুনামি?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী এবং তাদের কারো মধ্যেই এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, যা পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নামে পরিচিত, সেখানে মোট ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে দুই হাজার সাতশো জন চীনা শ্রমিক ও প্রকৌশলী রয়েছেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহ মনি জিকো বিবিসিকে বলেছেন, সম্প্রতি চীনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন চীনা নাগরিকদের একটি অংশ। "এদের মধ্যে থেকে জানুয়ারি মাসের ২৩, ২৬ এবং ৩০ তারিখে মোট ২০জন ফেরত এসেছেন বাংলাদেশে। তাদের চীনে এক দফা এবং বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। দুই জায়গার কোথাও তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।" "তারপরেও সতর্কতা হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি আলাদা ভবনে তাদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা। এর মানে হলো, তারা অন্যদের থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন, এবং ঐ ভবনের বাইরে বের হচ্ছেন না। প্রতিদিন বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সরকারী চিকিৎসকেরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।" আরো পড়তে পারেন: চীনা নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত উহান থেকে হজ্বক্যাম্প, যেমন ছিল যাত্রাপথ চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীন থেকে আগতদের জন্য দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী মাস্ক? মি. মনি জানিয়েছেন, প্রত্যেককে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর আগে জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে একটি বৈঠক করে একটি সতর্কতা জারি করে। এতে চীনা থেকে সম্প্রতি ভ্রমণ শেষে ফিরেছেন এমন নাগরিকদের যত্রতত্র চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বিবিসিকে বলেছেন, যেহেতু পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করেন, এবং তাদের একটি অংশ ছুটি কাটাতে চীনে গিয়েছিলেন, সে কারণে সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। "আমরা কেবল চীনা নাগরিক নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রর সব কর্মীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার উপসর্গ বা লক্ষণসমূহ এবং করণীয় সম্পর্কে আলাদা সেশন করেছি। সেই সঙ্গে কলাপাড়া সরকারি হাসপাতালে দুইটি বেড আলাদা করে প্রস্তুত করে রেখেছি, যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে যেন তাদের চিকিৎসা দ্রুত দেয়া সম্ভব হয়।" চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে মি. হাওলাদার বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেন প্ল্যান্টে কর্মরত যেসব চীনা নাগরিক এই মূহুর্তে চীনে রয়েছেন তারা যেন এখন বাংলাদেশে ফিরে না আসেন এবং নতুন করে কেউ যেন এখন চীনে না যায়। "সবার মঙ্গলের স্বার্থে এই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।" এর আগে রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে, আর মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিনশোর বেশি। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন থেকে যাওয়া যাত্রীদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে চীন ফেরত নাগরিকদের কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে অনেক দেশে। এদিকে, চীনে এই রোগের কারণে নতুন বছরের ছুটির মেয়াদ আবার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস: পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ২০ জন চীনা নাগরিককে কোয়ারেন্টাইন করা হলো
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বনানীতে বহুতল ভবনে আগুন। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে, কিন্তু আগুন শেষ খবর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। দশতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের জোন-২ এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, বনানী ১৭ নম্বর সড়কের এফ আর টাওয়ারে ১৯ তলা ভবনের ৭/৮ তলায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থল থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে আগুন লাগে। ভবনের ভেতরে লোকজন আটকা পড়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ভবন ফায়ার সার্ভিস বলছে দশতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে তারা মনে করছে। আগুন থেকে বাঁচতে রশি বেয়ে নামার চেষ্টা বিবিসির সংবাদদাতা তাফসির বাবু বলছেন, আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের জানালা দিয়ে অনেকে নামার চেষ্টা করছেন। রশি বেয়ে নামতে গিয়ে দুজন পড়ে গেছেন বলে ঘটনাস্থল থেকৈ জানান তিনি। এখনো অনেক মানুষ ভেতরে আটকরা পড়ে থাকতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা আগুন লাগা ভবনের ওপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার আগুন লাগার ঘটনা জানার পর থেকেই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ আপডেট প্রচার শুরু করে। এসমস্ত ফুটেজেও দেখা যায়, বিভিন্ন তার/রশি ধরে লোকজন ভবনের ভেতর থেকে নামার চেষ্টা করছে। দুয়েকজনকে পড়ে যেতেও দেখা যায় এসময়। লোকজনের নামতে সাহায্যের জন্য সেখানে একাধিক মই ধরতে দেখা যায় ।
বনানীতে বহুতল ভবনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তার ও রশি বেয়ে নামার চেষ্টা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
পুলিশ ঘর-বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তার ছবিও তোলা হচ্ছে তদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুইটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেলেও,আগুন লাগানোর অভিযোগ বরাবর নাকচ করে আসছিল পুলিশ। তবে হাইকোর্টের আদেশের পর অবশেষে দুই পুলিশ সদস্যকে তারা সনাক্ত করেছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বিবিসিকে জানান, আদালতে পুলিশের আইজির তরফ থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সেখানে দুইজন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা সরাসরি আগুন দিয়েছে। তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: হ্যাকিং নিয়ে ঝামেলায় সিআইএ শরণার্থী হতে গিয়ে জাপানে প্রতারণার শিকার দুই বাংলাদেশি ১১ বছর হাসপাতালে কাজ করেছে ভুয়া ডাক্তার! প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৮জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশের একজন গাইবান্ধার গোয়েন্দা শাখার সহ-পরিদর্শক ও অন্যজন পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল। ঘটনার পর আল-জাজিরা টেলিভিশনে যে প্রতিবেদন প্রচার হয়, সেখানে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়া পুলিশ সদস্য সাঁওতালদের বাঁশ এবং ছনের তৈরি ঘরের কাছে গিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে দুই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ছাড়াও বাইরের আরো লোক জড়িত ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে, কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। গত বছরের ৬ই নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় অন্তত কুড়ি জন আহত আর কয়েকজন সাঁওতাল নিহত হন। ঘটনার পর আল-জাজিরা টেলিভিশনে যে প্রতিবেদন প্রচার হয়, সেখানে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাঁওতালদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। সাঁওতালদের বসতির পাশেই দাঁড়িয়ে অনেক পুলিশ গুলি করছে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে দেয় পুলিশ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তাদেরই মধ্য থেকে মাথায় হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়া একজন পুলিশ সদস্য সাঁওতালদের বাঁশ এবং ছনের তৈরি ঘরের কাছে গিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং পাশের ছনের ঘরগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সিভিল ড্রেসে কয়েকজনকে জনকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে পুলিশের আগুন ধরানোর ঘটনা পরিষ্কার দেখা গেলেও তা বরাবর নাকচ করে আসছিল জেলার পুলিশ। হাইকোর্টের আদেশে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ সেদিন চামবাড়ি এলাকায় দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ধরণের আরো খবর: 'তিন প্রজন্মে সাঁওতালদের সাড়ে ৩ লক্ষ বিঘা জমি বেহাত হয়েছে' কেমন আছে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা সাঁওতালদের ধান বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ 'উচ্ছেদ-আগুন-লুটের প্রতিবাদে' সাঁওতাল বিক্ষোভ চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের হাতকড়া খুলে দিতে বলেছে আদালত সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ অস্বীকার পুলিশের
অবশেষে সাঁওতালপল্লিতে আগুন লাগানো দুই সদস্যকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সুন্দা প্রণালীর উপকূলবর্তী শহরগুলোয় সুনামির আঘাতে মারা গেছে আড়াইশোর বেশি মানুষ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে খুব সম্প্রতি বড় ধরণের কোন সুনামি না হলেও, আরাকান অঞ্চলের একটি টেকটনিক প্লেটের কারণে সুনামির ঝুঁকি রয়েছে বলে বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেটি ঘটার আশঙ্কা নেই বলে বলছেন একজন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সুনামির কোন ঘটনা ঘটলে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাংলাদেশে প্রায় কোন প্রস্তুতি নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। সুনামি কি? সুনামি শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হারবার ওয়েভ বা পোতাশ্রয়ের ঢেউ। এটি আসলে বিশাল আকারের শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস। সমুদ্রতল বা তীরবর্তী মাটির গভীরে ভূমিকম্প অথবা টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক উত্থানপতনের ফলে সমুদ্রের পানিতে কম্পনের তৈরি হয়, ফলে সেখানে বিশাল আকারে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঢেউয়ের ফলে পানি আরো ফুলে উঠে যখন প্রবল বেগে ধাবিত হতে থাকে, সেটাকেই সুনামি বলে বর্ণনা করা হয়। আরো পড়ুন: ভূমিকম্প মোকাবেলা: প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ফারাক জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ভূমিকম্প সম্পর্কে ১২টি বিস্ময়কর তথ্য ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন সুনামি হয় কেন? কিভাবে এত বড় সুনামির ঢেউ সৃষ্টি হলো - তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রতলের আগ্নেয়গিরি থেকে হঠাৎ অগ্নুৎপাতের কারণেও সুনামির তৈরি হতে পারে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার পালুতে সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পের পর যে সুনামি হয়, তাতে ঢেউয়ের উচ্চতা হয়েছিল ১৯ ফুট। ওই সুনামির আঘাতে পালু শহরে ১৩০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়। এর আগে ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় আরেকটি সুনামিতে আড়াই লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিল। ২০১১ সালে জাপানে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৩৩ ফিট উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। ওই ঘটনায় প্রায় ১৮ হাজারের মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে জাপানে আরেকটি ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতের ঘটনা ঘটে, যাতে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের ঝুঁকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব বলছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাঝে বার্মিজ প্লেট বলে একটি টেকটনিক প্লেট রয়েছে, যেখানে কোন রকম নড়াচড়া হলে বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার একটা ঝুঁকি রয়েছে। সেখানে বড় ভূমিকম্প হলে অবশ্যই আশেপাশের সাগরে বড় ধরণের সুনামির তৈরি হবে। এরকম কিছু হলে সেটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক হবে বলে তিনি বলছেন। কারণ এর ফলে যে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হবে, তাতে ঘন জনবসতির বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হতে পারে। তবে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, এই প্লেটে ভূমিকম্প হলে অবশ্যই বড় সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখানে খুব তাড়াতাড়ি এই বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পালু শহরে সুনামির ধ্বংসলীলা তিনি বলছেন, অতীতের নানা নথিপত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে ১৯৬২ সালের ২রা এপ্রিল আরাকান কোস্টে প্রায় সাড়ে আট মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সে সময়কার তথ্যে জানা যায়, তখন বড় ধরণের সুনামির তৈরি হয়েছি, যা উপকূল থেকে অনেকদূর পর্যন্ত ভেতরে এসে পৌঁছেছিল। যদিও তখনকার সময়ে মানুষ কম ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা হয়তো ততো বেশি হয়নি। তবে ঢাকায় নদীর পানি বেড়ে গিয়ে পাঁচশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। ''এর পর আর এই অঞ্চলে কোন এতো বড় ভূমিকম্প বা সুনামির তথ্য পাওয়া যায় না। আমাদের হিসাবে, একবার ভূমিকম্প হওয়ার পর ওই প্লেটে শক্তি সঞ্চয় হয়ে পরবর্তী ভূমিকম্প হতে আরো ৫০০ থেকে ৯০০ বছর লেগে যায়। সেই হিসাবে এখানে ওই প্লেটে বড় ভূমিকম্প হতে আরো দুইশো-আড়াইশো বছর বাকি আছে।'' বলছেন মি. আখতার। বাংলাদেশ দুইটা বড় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে, যা চিটাগাং-আরাকান থেকে আন্দামানের দিকে চলে গেছে। তবে কখনো কখনো কিছু ব্যতিক্রমের ঘটনাও ঘটে বলে তিনি বলছেন। ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ 'ফানেল শেপ' অবস্থায় রয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র দক্ষিণ দিতে প্রসারিত হয়ে গেছে। ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, আন্দামান বা ভারত মহাসাগরে যদি বড় সুনামির তৈরি হয়, ফানেল শেপ হওয়ার কারণে তার প্রভাব কিছুটা বাংলাদেশে এসেও লাগবে। যদিও সেটা হয়তো ইন্দোনেশিয়ার মতো অতোটা প্রলয়ঙ্করী হবে না। ''কিন্তু আগে থেকে সতর্ক না হলে তাতেও অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারে,'' তিনি আশঙ্কা করছেন। সুনামি সতর্কতা সুলাওয়েসিতে ভুমিকম্প ও সুনামির আঘাত ভূমিকম্প সম্পর্কে খুব আগেভাগে সতর্ক করা সম্ভব না হলেও, যেহেতু ভূমিকম্পের পরে পানির কম্পনে সুনামির সৃষ্টি হয়, ফলে সুনামি সম্পর্কে আগেভাগে সতর্ক করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন বিশ্বের অনেক স্থানে সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ফলে কোন ভূমিকম্পের ফলে সুনামির ঝুঁকি তৈরি হলে দ্রুত সতর্কতা জারি করা হয়। ফলে সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলো বা ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়, যাতে সেখানকার বাসিন্দারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে। এ কিউ এম মাহবুব বলছেন, চীনে এখন এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যে, সুনামির ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সবার মোবাইলে বার্তা চলে যায়, যাতে সবাই সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদে চলে যেতে পারে। আরো অনেক দেশ সুনামির ক্ষেত্রে দ্রুত নিরাপদ করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোন ব্যবস্থা নেই বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব বলছেন, অনেক সময় বড় সুনামির ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় পাওয়া যায়। তাই দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে তখন অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। ২০০৭ সালে ঘুর্ণিঝড় 'সিডরের' সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাসে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সুনামির ক্ষেত্রে এরকম জলোচ্ছ্বাস আরো বড় হতে পারে। অধ্যাপক ড. এ কি এম মাহবুব বলছেন,'' আমাদের দেশে সাইক্লোন বা বন্যা মোকাবেলায় আমরা অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিন্তু সুনামির ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রস্তুতি এখনো আমাদের নেই।'' ইন্দোনেশিয়ার কারিতা সৈকতে সুনামিতে অনেক বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ''উপকূল একেবারে নাজুক, ওয়াল অব ওয়াটার নেয়ার মতো কোন ব্যবস্থা সেখানে নেই। এমনকি যেসব সাইক্লোন সেন্টার আছে, সেগুলোও বড় সুনামি ঠেকাতে শক্ত নয়। ভবিষ্যতে সাইক্লোন সেন্টারও করার সময় সুনামির ব্যাপারটি বিবেচনায় রাখতে হবে এবং সেগুলো সেভাবে শক্ত আর উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে।'' ''আসলে ভূমিকম্পের জন্যই তো আমাদের এখানে যথেষ্ট প্রস্তুতি বা প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু ভূমিকম্প এবং সুনামি, দুইটার জন্যই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ থাকাটা জরুরি।'' বলছেন মি. মাহবুব। বিশেষ করে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় মানুষজনের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। ফলে উপকূলীয় দেশ হওয়া সত্ত্বেও সুনামির ভয়াবহতার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ বা প্রস্তুতি নেই। অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে অনেক সময় একঘণ্টা আগেও সুনামির সতর্কতা বার্তা পাওয়া যায়। '' ফলে যেভাবে সাইক্লোন মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তার সঙ্গে সুনামির প্রস্তুতির ব্যাপারটিও যোগ করা উচিত। তাহলে যদি কখনো সেরকম পরিস্থিতি দেখা যায়, প্রাণহানি অন্তত এড়ানো যাবে।'' আরো খবর: প্যাডসর্বস্ব সংগঠনগুলো কি আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা? ব্রিটেনে নারী এমপিরা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন কেন? খোকার বড় আক্ষেপ ছিল পাসপোর্ট না পাওয়া
সুনামি হওয়ার কতটা ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নারীদের প্রতিবাদ: বিশেষ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ। তবে নাগালের বাইরে বলেই বোধহয় স্বর্গলোক নিয়ে মানুষ তত মাথা ঘামায়নি। কিন্তু এই ধরাধামেই যদি কোন জায়গা স্বর্গের মত মনে হওয়ায় সে 'ভূস্বর্গ'র আখ্যা পেয়ে যায়? ঠিক যেমনটা সপ্তদশ শতাব্দীতে কাশ্মীর পেয়েছিল তার অসামান্য প্রাকৃতিক শোভায় অভিভূত মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে। তাহলে যে সেই 'ভূস্বর্গ'র দাবিদার হতে অনেকেই হাতের আস্তিন গোটাবে, তাতে আর আশ্চর্য কি? কিন্তু কে জানত যে সেই 'ভূস্বর্গ কাশ্মীর'ই একদিন 'মৃত্যু উপত্যকা' হয়ে উঠবে। কে জানত গত কয়েক দশক ধরে সংঘাত দীর্ণ সেই ভূস্বর্গেই নারী ও কিশোরীরা সেনা, আধা সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের দ্বারা ধর্ষণসহ নানা অত্যাচারের শিকার হয়ে উঠবেন। এবং কে জানত যে, একেবারে সরকারি সিলমোহর লাগিয়েই সেখানকার মেয়েদের মৌলিক অধিকারগুলিও অচিরেই কেড়ে নেওয়া হবে? কাশ্মীর: ভূস্বর্গ এখন 'মৃত্যু উপত্যকা' ইতিহাস হাতড়াতে গিয়ে দেখছি - মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া ছুঁয়ে থাকা ভারতীয় উপমহাদেশে জম্মু -কাশ্মীরের যে ভৌগোলিক অবস্থান, তাতে প্রাচীন থেকে মধ্য যুগ - ক্রমান্বয়ে হিন্দু, মুঘল, আফগান, শিখ, ডোগরা রাজা বাদশাহদের শাসনে ছিল সে। ফলে সেই উপত্যকায় হিন্দু-বৌদ্ধ-শৈব হয়ে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসলাম ধর্মও এসে মিশেছে। এবং মনে হয় যুগ যুগ ধরেই সেই নানা ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরম্পরা অন্তর্লীন ছিল উপত্যকাবাসীর জীবন চর্যাতেও । কিন্তু ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় যে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা সংঘাতের মধ্যে দিয়ে দেশভাগ, ভারতের স্বাধীনতা অর্জন এবং পাকিস্তানের জন্ম হয়, তার মধ্যেই যেন এই উপত্যকায় এক অনিঃশেষ দ্বন্দ্ব - সংঘাতের বীজ লুকিয়ে ছিল। কারণ জম্মু-কাশ্মীরের শেষ হিন্দু রাজা হরি সিং স্বাধীনতা বজায় রাখতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত কেন তিনি ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সংযুক্তি মেনে নিয়েছিলেন? (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন)। কিন্তু একটি মুসলমান প্রধান প্রদেশ, একটি হিন্দু প্রধান রাষ্ট্রের সঙ্গে আদৌ অন্তর্ভুক্তি চায় কি না, এবং তাতে তাদের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক-আর্থ-সামাজিক জীবনে সমস্যা হতে পারে কি না, রাজ্যবাসীর কাছে তা জানতে চাননি হরি সিং। জম্মু-কাশ্মীরের শেষ হিন্দু রাজা হরি সিং। যে ঐতিহাসিক, ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে দেশের একমাত্র মুসলমান প্রধান রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি, তাতে হয়তো একটা 'সেফগার্ড'এর প্রয়োজন ছিল। যা সংবিধানের অস্থায়ী ৩৭০ ধারা তাকে দেয়। এবং সেই ধারায় প্রায় ৭০ বছর ধরে রাজ্যটি 'স্পেশাল স্টেটাস'র বিশেষ সুবিধাও পেয়ে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্য, রাজ্যের সেই নিজস্ব সংবিধানই কাশ্মীরি মহিলাদের নানা মৌলিক অধিকার হরণ করে নেয়। সেই সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপত্যকায় সকলেরই যে 'পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট' বা পিআরসি থাকা উচিত, তা বাতিল হয়ে যায় যদি কোন কাশ্মীরি মেয়ে পিআরসি নেই এমন পুরুষকে বিয়ে করে। তখন পিআরসি হোল্ডার'র সমস্ত সুযোগ থেকেই সে বঞ্চিত হয়। সরকারি স্কুল-কলেজে পড়া, কোন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্কলারশিপ, সরকারি অনুদান কিম্বা সরকারি চাকরি পাওয়ার অধিকার সে হারায়। সেখানে সম্পত্তি কেনা বেচা, এমনকি পারিবারিক বিষয় সম্পত্তির অধিকার থেকেও মেয়েটি বঞ্চিত হয়। তার অধিকার থাকে না নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও। ভারতীয় রাজনীতিকরা কাশ্মীরি নারীদের পণ্য হিসেবে দেখছেন? অথচ কোন কাশ্মীরি পুরুষ অন্য রাজ্যের বা দেশের কোন মহিলাকে বিয়ে করলেও তার স্টেটাসের কোনই পরিবর্তন হয় না। উপরন্তু তার স্ত্রী কাশ্মীরের 'পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট'র মর্যাদা পেয়ে যায়। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।) তাই হঠাৎ জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেই ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা তুলে নেওয়ায়, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী কাগজে কলমে অন্তত সমস্ত নারী-পুরুষের সমানাধিকার সেখানেও এবার প্রযোজ্য হবে। সরকারের এই পদক্ষেপে জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ আদৌ উজ্জ্বল হবে, নাকি কাশ্মীরিদের জীবন আরও দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা ও অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, তা এখনই বলা কঠিন। কিন্তু যেসব কাশ্মীরি মহিলারা তাঁদের জীবনে এই ঘোর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বারবার, তাঁরা অন্তত এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে কাশ্মীরি মেয়েদের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কাশ্মীরি নারীর প্রতিক্রিয়া: ভারত সরকারের বিরুদ্ধেই তাঁদের হাতেও পাথর উঠে আসছে। কারণ, ৩৭০ বাতিল হতে না হতেই বিজেপির নেতা, মন্ত্রীরা যেভাবে উঠে পড়ে 'ফর্সা কাশ্মীরি মেয়ে'দের বউ করে আনার ব্যাপারে অকাশ্মীরিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, তা শুধু অশালীন ও অরুচিকরই নয়, অত্যন্ত লজ্জাজনকও বটে। বিজেপি ল'মেকার বিক্রম সাইনি তো তাঁর দলের মুসলমান কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন যে, এখন তাঁরা কাশ্মীরে গিয়ে 'ফেয়ার স্কিনড কাশ্মীরি গার্লস' বিয়ে করে আনতে পারেন। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।) আসলে যে ঘোর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েদের চিরকালই পণ্য হিসেবে দেখে এসেছে, তারই জেরে হঠাৎ ভূস্বর্গের নারীদের পাওয়া আয়াসসাধ্য মনে হচ্ছে দেশের বহু পুরুষেরই। তারা যেন খেই হারিয়ে ফেলছেন। তাই তাঁদের ওই 'ফেয়ার স্কিন্ড গার্লস' পাওয়ার লোভের কাছে বিশেষ করে দরিদ্র কাশ্মীরি মেয়েদের নিরাপত্তা কতটা অটুট থাকবে, তা নিয়ে একটা আশঙ্কা জাগছেই। কারণ বিশ্বে কন্যাশিশু ও নারী পাচারে ভারতের স্থান কিন্তু বেশ ওপরের দিকেই। তাছাড়া ভারতের সংবিধান নারী পুরুষের সমান অধিকার দিলেও অন্যান্য রাজ্যের বেশিরভাগ মেয়েদের মতো কাশ্মীরি মেয়েরাও যে তার নাগাল পাবে না, তাতে সন্দেহ নেই। তাই সেখানকার হাজার হাজার 'হাফ উইডো', যাঁদের স্বামী নিখোঁজ, সন্তান নিখোঁজ, তাঁদের হদিশ না পেলে, গণকবরে পরিচয়হীন যারা শুয়ে আছেন, তাঁদের পরিচয় না জানালে, সেনাবাহিনীর হাতে অত্যাচারিত ও নিহতদের সেই হাজার হাজার মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যাদের মনের ক্ষত শুকবে কি করে? গত কয়েক দশক ধরে ধর্ষণ ও গণধর্ষণে অপরাধীদের শাস্তি না দিলে কাশ্মীর ভূখণ্ডের ওপর হয়তো জাতীয় পতাকা ওড়ানো যাবে। কিন্তু কাশ্মীরি নারী-হৃদয়ের এক ইঞ্চি জায়গাও দেশের শাসকরা পাবেন না। এবং জঙ্গিদের সমর্থনে নয়, ভারত সরকারের বিরুদ্ধেই তাঁদের হাতেও হয়তো তখন পাথর উঠে আসবে।
কাশ্মীর সংকট: 'ভূস্বর্গ' থেকে 'মৃত্যু উপত্যকা' এবং নারীরা আবার হুমকির মুখে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
চেকপয়েন্টে একজন চালকের সাথে কথা বলছেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। প্রশাসনের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সময় সরকারি কর্মকর্তাদের পরিশীলিত আচরণ নিশ্চিত করার বিষয়ে জানানো হলেও এ বিষয়ে বিধিমালা বা নিয়মকানুন তেমন কিছু নেই। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক চিকিৎসক চরম বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। তারা পরষ্পর পরষ্পরকে অপরিশীলিত বাক্যবাণ করছেন এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করছেন। তিনজনই সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা। ফেসবুকে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দায়িত্বরত পুলিশের সঙ্গে ডাক্তারের এমন ব্যবহার কতটা সমীচীন? আবার কেউ কেউ লিখছেন, পুলিশের হয়রানি নিয়ে অনেকদিনের জমানো ক্ষোভ থেকেই হয়তো এমন প্রতিক্রিয়া! বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চেকপোস্টে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে এক চিকিৎসকের বিতণ্ডার চিত্র ভাইরাল হয়। ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা রয়েছে, যেখানে একজন সরকারি কর্মকর্তা নির্ধারিত কিছু বিষয়ে কিভাবে পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তবে সেখানে জনগণের সাথে আচরণ কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই বিধিমালায় বলা হয়েছে: তবে, এসব বিধিমালা প্রায় সময়ই মানা হয় না বলে নানা ধরণের অভিযোগও দেখা যায়। তাহলে কর্মকর্তারা আচরণবিধি কীভাবে শেখেন? মাঠ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মণ্ডল বিবিসি বাংলাকে বলেন, যদিও তারা চাকরিতে আসার পর যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণটি পান সেখানেই আচরণবিধির অনেকটাই শেখেন। তবে মূল শিক্ষাটি পান কাজ করতে এসে সিনিয়রদের কাছ থেকে। "যখন কালেক্টরেটে কাজ করতে এসেছি, তখনই বড়দের কাছে শিখেছি, কীভাবে জনগণের সাথে আচরণ করতে হবে। আমাদের সবসময় সহিষ্ণু আচরণ করতে শেখানো হয়েছে"। আর সেবাগ্রহীতাদের প্রতি সেই আচরণ হতে হবে "অবশ্যই আন্তরিক এবং মানবিক", বলেন মিসেস মণ্ডল। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, বিসিএস পরীক্ষার পর ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়ার পর যে প্রশিক্ষণগুলো হয়, সেখানে জনগণের প্রতি আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে পাঠ দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে আলাদা করে কোন প্রশিক্ষণের কথা জানাতে পারেননি তিনি। সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার লিখিত আচরনবিধি না থাকার উল্লেখ করেন, তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দপ্তর পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়টি জানিয়ে দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় একটি নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, লকডাউন চলাকালে সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা যেন পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখেন। মি. মজুমদার বলেন, "আশা করা হয় যে, সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের আচরণ হবে পরিশীলিত। এটা জনগণ তো বটেই, সহকর্মীদের সাথেও এমন আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।" সারা দেশের চিত্র নয় যে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত, সেটি সারা দেশের চিত্র নয় বলে বর্ণনা করছেন আলী ইমাম মজুমদার। আবার ভিডিওটিও ঘটনাপ্রবাহের পুরো চিত্র নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। "পুরো ঘটনার চিত্র ভিডিও আকারে আসেনি। মাঝামাঝি পর্যায় থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। উত্তেজনা যখন তুঙ্গে থাকে তখনই ভিডিও করা হয়। এর আগে করা হয় না।" বলেন মি. মজুমদার। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুরো দেশেই লকডাউন চলছে। সেখানে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যা বাস্তবায়নে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। "বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে গিয়ে দুয়েক জায়গায় কিছু ভুল-ভ্রান্তি হওয়াটা অযাচিত কিন্তু অস্বাভাবিক নয়," তিনি বলেন। তার মতে, গোটা কর্মকাণ্ডের তুলনায় এটাকে খুব বড় করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এটা 'দুঃখজনক এবং এটা হওয়াটা ঠিক হয়নি'। কারণ যারা রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছেন তারা অন্য কারো সাথে অশোভন আচরণ করতে পারেন না। "গতকাল ক্ষেত্র-বিশেষে সেটাই হয়েছে এবং এটা অযাচিত"। তিনি বলেন, "একদিকে পুলিশের আচরণও পরিশীলিত ছিল না, আর অন্যদিকে চিকিৎসক যিনি ছিলেন, তিনিও যেসব কথা বলেছেন সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়। তার আচরণও অযাচিত"। সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আকবর আলী খান বলেন, "বাংলাদেশে যে ক্যাডার সার্ভিসগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে এক ধরণের অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। এরা একে অপরকে সহ্য করতে পারে না"। এক্ষেত্রে সে বিষয়টি কাজ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। একই সাথে যারা দায়িত্ব ছিলেন, তারাও হয়তো ভালভাবে প্রশিক্ষিত হননি - এসব কারণেই এ ধরণের ঘটনার উদ্ভব হয়। তবে মি. খান একে সরকারি কর্মচারীদের আচরণ না বলে এই ঘটনাকে তাদের ব্যক্তিগত আচরণ হিসেবেই দেখতে চান। মি. খান বলেন, জনগণের সাথে আচরণ কেমন হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হলে মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা দরকার। সেটি না হলে প্রশিক্ষণ ফলপ্রসূ হবে না। তবে এ ধরণের গবেষণাও বাংলাদেশে অপ্রতুল।
ডাক্তার-পুলিশ বিতণ্ডা: সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরূল ইসলাম আলমগীরের সাথে পরামর্শ করছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির রাজনীতিতে কথিত 'ভারত-বিরোধিতা' একটা অন্যতম দিক এমন কথা বলা হলেও - গত কয়েক বছর বিএনপি এসব প্রসঙ্গে প্রায় নিরব ছিল। কিন্তু কিছু পরিসংখ্যান অনুযায়ী যখন বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা কমে গেছে - তখন বিএনপি এ নিয়ে মুখ খুললো কেন? তারা কি নির্বাচনের পর ভারত সম্পর্কে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে- এসব প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। অনেকদিন পর তারা বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার ধারাবাহিকতা এখনও পর্যন্ত পুরোদমে চলছে। এজন্য তিনি দেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে 'নতজানু পররাষ্ট্র নীতি' নেয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যা এবং ধরে নিয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি। বিএনপিও দীর্ঘ সময় পর এবিষয়ে মুখ খুললো কেন এই প্রশ্নের জবাবে মি: আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না এবং তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁয়ে সফরে থাকার সময় ঐ সীমান্তে গত কয়েকদিনে দু'জন বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে, সেজন্য তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। "এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। কেউ যদি অপরাধ করে বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ে, তার জন্য আইন আছে। কিন্তু তাকে গুলি করে হত্যা করার বিষয়টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সে কারণেই, এবং যেহেতু আমার জেলা ঠাকুরগাঁয়ে আমি এসেছিলাম, তখন ঘটনাগুলো ঘটেছে। সেকারণে আমি মনে করেছি যে, এ সম্পর্কে আমার একটা বিবৃতি থাকা উচিত। এটা আমার দায়িত্ব," বলেন মি. আলমগীর। সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যায় বিএসএফের সমালোচনা করে থাকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আরো পড়তে পারেন: টক-শো নিয়ে বিএনপি'র নীতিমালায় কী থাকছে? নতুন জাতীয় সংসদে কারা হতে পারবে বিরোধী দল? ফেলানি হত্যার আট বছর: কেমন আছে পরিবার "সরকার সঠিকভাবে বাংলাদেশের স্বার্থগুলোকে প্রতিবেশী বন্ধু দেশের কাছে তুলে ধরছে না এবং এসবের সমাধানও করছে না। যেমন ধরেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের সমস্যা আছে, সেই সমস্যাও সমাধান হয়নি। অথচ সরকার দাবি করছে যে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে ভালো।" মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে সবচেয়ে বেশি ১৫৫ জন বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৬ সালে। পরের বছরও নিহতের সংখ্যা একশ'র বেশি ছিল। ২০১১ সালে কুড়িগ্রামের একটি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানী নামের এক কিশোরীর মৃতদেহ ঝুলে থাকার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। সে সময় এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বিএনপিও মাঠে নেমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এরপরেও সীমান্তে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিএনপি আর সেভাবে সোচ্চার ছিল না। গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ৩০শে ডিসেম্বরের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের আগে, বিএনপি ভারতের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য রুমিন ফারহানা বলছিলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ করা সরকারেরই বেশি দায়িত্ব বলে তারা মনে করেন। "আমি বলবো যে, ভারত সরি বলেছে, আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। কোন রকমের শক্ত প্রতিবাদ করা হয়নি। প্রতিরোধ করাতো অনেক পরের ব্যাপার।" নির্বাচনের আগে বিএনপি একটা অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল যে তারা ভারত-বিরোধী নয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ২০১২ সালে দিল্লিতে বৈঠক করছেন তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের সাথে। ভারতের সরকার এবং এমনকি দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির সাথে সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছিল। তারা কয়েকবার ভারত সফরেও গেছেন। কিন্তু ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়টি একটি বড় বাধা হয়েছিল। বিএনপির নেতাদের অনেকে মনে করেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক তৈরির সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে কৌশল হিসেবে সেই চেষ্টা চালানো হলেও দলটির ভেতরে এবং তাদের ২০ দলীয় জোটে ভারত-বিরোধী মনোভাবের প্রভাব রয়ে গেছে। এমন মনোভাবের নেতারা তাদের দলকে আবারও ভারত-বিরোধী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ববোধ থেকে অন্য কোন দেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের স্বার্থকে সবসময়ই প্রাধান্য দিয়েছেন। "বিষয়টা কোন পুরনো অবস্থান বা নতুন অবস্থান নয়। বিষয়টা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় যে সমস্যা আছে, সেই সমস্যাগুলোকে তুলে ধরা, জাতীয় দল হিসেবে, বড় দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।" তবে বিএনপি নেতাদের অনেকে এটাও বলেছেন যে, ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনও তাদের কৌশলে এগুতে হবে। তারা মনে করেন, দলের ভেতরে এনিয়ে চাপ তৈরি হলেও এখনকার আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে চরম কোন অবস্থান নিলে সেটা তাদের জন্য আরও ক্ষতিকর হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: রাজনীতিতে নেমে কী করতে পারবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? ইজতেমা একটাই হবে, সাদ কান্দালভী আসছেন না সুভাষ বসুর জীবনের শেষ মুহূর্ত সম্পর্কে যা জানা যায় যে যৌনপল্লীতে নেই যৌনকর্মী, আছে শুধু সেক্স ডল
বিএনপি কি সংসদ নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে আবার ভারত-বিরোধী অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
আইএস নেতা আবুবকর আল বাগদাদি: নতুন ভিডিওতে ইরাক ও সিরিয়ায় কায়েম করা তাদের স্বঘোষিত খেলাফতের বিলুপ্তির পর এই ভিডিও ছেড়ে কি বার্তা দিচ্ছে আইএস? গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার আল-বাগদাদির নিহত হবার খবর বেরোয়, তবে এই ভিডিওটিতে শেষ পর্যন্ত তাকে জীবিত এবং বক্তৃতারত অবস্থায় দেখা গেল। অনেক বিশ্লেষক এর সাথে আল-কায়েদার নিহত নেতা ওসামা বিন লাদেন বা ইরাকী আল-কায়েদা নেতা আবু মুসাব আল-জারকাবির ভিডিওগুলোর মিল দেখতে পেয়েছেন। লাদেন বা জারকাবির ভিডিওর মতোই মি. আল-বাগদাদি কালো পোশাক এবং সামরিক-ধাঁচের ওয়েস্টকোট পরে মাটিতে বসে কথা কথা বলছেন। তার পাশে একটি এ্যাসল্ট রাইফেল দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা আছে। তার চেহারা এবং দাড়ির রঙে বুড়িয়ে যাবার আভাস আছে, বলছেন বিশ্লেষকরা - যদিও তার বয়স মাত্র ৪৭। তার দাড়িতে মেহেদির রঙও দেখা যাচ্ছে। আল-বাগদাদি একজন ইরাকি এবং তার আসল নাম ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আল-বাদরি। শেষ বার তাকে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ২০১৪ সালে। ইরাকের মসুল শহরটি আইএস দখল করে নেবার পর সেখান থেকেই মি. আল-বাগদাদি ঘোষণা করেছিলেন, ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠার কথা। সেই এলাকাগুলোর সবই এখন তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। মি. আল-বাগদাদি ১৮ মিনিট লম্বা এই নতুন ভিডিওতে স্বীকার করেছেন যে আইএসের শেষ ঘাঁটি বাঘুজেরও পতন ঘটেছে। আল-ফুরকান নামে একটি জঙ্গী গ্রুপের মিডিয়া নেটওয়ার্কে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। কবে এটি ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ইসলামিক স্টেট নিজে বলছে, ভিডিওটি এপ্রিল মাসে ধারণ করা। ২০১৪ সালের ভিডিওতে আল-বাগদাদি সাংবাদিক মাইকেল ওয়েইস বলছেন, আবুবকর আল-বাগদাদি স্পষ্টতই এ ভিডিওর মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছেন যে তিনি জীবিত আছেন এবং এখনো আইএসের নেতৃত্বে আছেন। কিছুকাল আগে ব্রিটেনের দি গার্ডিয়ান খবর দিয়েছিল যে মি. আল-বাগদাদির বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারি মাসে একটা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। পূর্ব সিরিয়ার এই অভ্যুত্থানকারীরা নাকি তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রভুত্ববাদী মানসিকতা দেখানোর অভিযোগ এনেছিল। 'তিনি আইসিস পরিচালনায় দমনমূলক ও স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন' - সংগঠনটির কিছু সদস্যের অভিযোগ ছিল এটাই। ফলে এ ভিডিওর মাধ্যমে মি.আল-বাগদাদি বিশ্বকে জানান দিলেন যে তিনি এখনো জীবিত এবং আইএসের নেতা রয়েছেন, যদিও তাকে ধরার জন্য ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ভিডিওতে বাঘুজের পতনের কথা স্বীকার করলেও তিনি বলছেন, তিনি বুরকিনা ফাসো এবং মালির জঙ্গীদের কাছ থেকে আনুগত্যের অঙ্গীকার পেয়েছেন। তিনি সুদান ও আলজেরিয়ায় বিক্ষোভ নিয়ে কথা বলেছেন, এবং মন্তব্য করেছেন যে স্বৈরাচারীদের মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান হচ্ছে জিহাদ। ভিডিওর শেষ দিকে মি. আল-বাগদাদির একটি অডিও বার্তাও রয়েছে যাতে তিনি শ্রীলংকায় ইস্টার সানডের দিনের আক্রমণ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি মন্তব্য করেন যে আইএসে সবশেষ ঘাঁটি বাঘুজের পতনের প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলংকার আক্রমণ চালানো হয়েছে। তবে বিবিসি মনিটরিংএর বিশ্লেষক মিনা আল-লামি বলছেন, ওই আক্রমণের কৃতিত্ব দাবি করে আইএস আগে যে বার্তা দিয়েছিল তাতে বাঘুজের কোন উল্লেখ ছিল না। বিবিসির বিশ্লেষক মার্টিন পেশেন্স বলছেন, মি. আল-বাগদাদি ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের পরাজয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন। তার কথায়, বাঘুজের যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে তবে এ যুদ্ধের পরেও আরো অনেক কিছু আসছে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: ফিরে আসছে আইএস? খিলাফত হারালেও থেকেই গেছে আইএস হুমকি বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট
পাঁচ বছর পর আইএস নেতা আল-বাগদাদির ভিডিও কেন?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিককে চুমু খাচ্ছেন রুশ নারী সমর্থক। এই ঘটনাটি চীনের সোশাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাদের আলোচনার বিষয় এটিকে 'যৌন হয়রানির' ঘটনা বলে বিবেচনা করা হবে কিনা! ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল এমবিএনের রিপোর্টার জিওন গোয়াঙ-রেয়ল ২৮শে জুন রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপের খবর দিচ্ছিলেন। এসময় দুজন রুশ নারী এসে তার গালে চুমু খান। এসময় রিপোর্টার এই ঘটনাটিকে হেসে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছিলেন কিন্তু তাকে কিছুটা একটু বিব্রত দেখাচ্ছিল। কারণ এই ঘটনার কয়েকদিন আগে একজন নারী রিপোর্টার যখন টেলিভিশনে সরাসরি খবর দিচ্ছিলেন তখন কয়েরকজন পুরুষ ফুটবলপ্রেমী তাকে চুমু দিতে চেষ্টা করলে ওই ফ্যানদের তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিককে চুমু খাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে বড় ধরনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওয়েইবোর ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন তুলছেন: পুরুষ সমর্থকদের আচরণ নিয়ে যদি সমালোচনা হয়ে থাকে, তাহলে একই আচরণের জন্যে নারী সমর্থকদের সমালোচনা করা হবে না কেন? এই নারী সাংবাদিককে চুমু খাওয়ার ঘটনার পর অনেকেই একে যৌন হয়রানি বলে উল্লেখ করেছেন। আরো পড়তে পারেন: ক্যারিবিয়ানে ৪৩ অল আউট : কী বলছে বাংলাদেশ? ইংল্যান্ডকে পরাজিত করায় মূল্য দিতে হতে পারে বেলজিয়ামকে বিশ্বকাপ ফুটবল উগান্ডানদের জন্য এখনো আতঙ্কের 'আমাকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করেছিল আমার স্বামী' "আগের ঘটনার সাথে তো এখানে একটা বৈপরীত্য চোখে পড়ছে," বলেছেন একজন ওয়েইবো ব্যবহারকারী। আরেকজন লিখেছেন, "এটিকে কেন যৌন হয়রানি হিসেবে দেখা হবে না?" এই মন্তব্যে লাইক দিয়েছেন শত শত মানুষ। আরেকজন ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেছেন: "যে চুমু খাচ্ছে সে যদি দেখতে খুব সুন্দর নয়, তাহলে সেটা যৌন হয়রানি হবে না।" অনেকেই এরকম ঘটনায় 'নারী ও পুরুষের ব্যাপারে সমান আচরণের' আহবান জানিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, এই ঘটনায় যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে নারী ও পুরুষের মধ্যে এখনও বৈষম্য রয়েছে। নারী ভক্তের কথা বলতে গিয়ে 'সৌন্দযের্র' মতো শব্দ ব্যবহারেরও সমালোচনা করছেন অনেকে। প্রথম চুম্বনের কিছুক্ষণ পর আরো একজন নারী এসে তাকে চুমু খান। এই চুম্বন নিয়ে চীনে বিতর্ক হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হয়নি। শুধু এমবিএন টেলিভিশন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কিছু সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি প্রচার করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নাগরিক টুইটারে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। লিখেছেন: 'আপনার লিঙ্গ যা-ই হোক না কেন, আপনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমবিএনের একজন সাংবাদিক বিশ্বকাপ কভার করতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে দুজন নারী তাকে যৌন হয়রানি করেছে।" গত কয়েকমাস ধরে ওয়েইবোতে যৌন হয়রানির মতো বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নেওয়া হচ্ছে না। গত সপ্তাহে এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যার মূল কথা ছিল: 'নারী কিম্বা পুরুষ, তরুণ কিম্বা বৃদ্ধ যে কেউই যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন।' এই ভিডিওটিও সোশাল মিডিয়াতে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।
বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া পুরুষ রিপোর্টারকে অচেনা নারীর চুম্বনের ঘটনায় চীনের সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আত্মজীবনীমূলক বই 'এ ব্রোকেন ড্রিম'। 'এ ব্রোকেন ড্রিম' -নামের বইতে মি. সিনহা বর্ণনা করেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়টিকে কেন্দ্র করে তার ওপর সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। সংবিধানের ১৬শ সংশোধনী বাতিলের রায় পক্ষে নিতে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে চাপ তৈরি করা হয়েছিল বলে বিচারপতি সিনহা যে অভিযোগ করেছেন, তা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বিবিসিকে বলেন, বিচারপতি সিনহা নিজেই বিচারবিভাগ এবং সংসদের মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া সরকারের চাপে তাঁর দেশ ছাড়ার অভিযোগ নাকচ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিদেশে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতির বই এবং তাঁর বক্তব্য নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিচারপতি সিনহার বই লেখার বিষয়কে ক্ষমতা হারানোর জ্বালার সাথে তুলনা করেছেন। ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আরো পড়তে পারেন: ভারতে বেশির ভাগ গণধোলাইয়ের কেন্দ্রে এখন গরু ডিজিটাল আইনের যে তথ্যগুলো জানা থাকা দরকার বিদেশে বসে 'মনগড়া বই' লিখেছেন সিনহা: কাদের তিনি বলেন, ক্ষমতায় যখন কেউ না থাকে, তখন অনেক অন্তর্জ্বালা, বেদনা থাকে। ক্ষমতা হারানোর জ্বালা থেকে বইটি লিখে মনগড়া কথা বলা হয়েছে বলে মি: কাদের মন্তব্য করেন। বিচারপতি সিনহা'র অন্যতম অভিযোগ হচ্ছে, তাঁকে অসুস্থ বানিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। একই সাথে তিনি সরকারের চাপ এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর হুমকির মুখে দেশ ছাড়ার যে অভিযোগ এনেছেন, এ সব অভিযোগ নাকচ করে দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। "প্রথম কথা হচ্ছে যে, তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয় নাই। তিনি আমার কাছে চিঠি লিখেছেন যে তিনি অসুস্থ। তাহলে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে তিনি যখন যেখানে প্রয়োজন, যে মিথ্যার আশ্রয় নিলে তাঁর পক্ষে হবে, তিনি ঠিক সেই মিথ্যার আশ্রয় নেন।" "তখন তিনি আমার কাছে চিঠি লিখেছিলেন যে, তিনি অসুস্থ। সেই সব চিঠি আমার কাছে আছে। তো উনি এসব কথা বললেইতো আর এসবের জবাব দিতে হবে না।" ডিজিএফআই এবং আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এছাড়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পক্ষে নিতে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির যে অভিযোগ তুলেছেন বিচারপতি সিনহা, সেই অভিযোগে সরকারের অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বলেছেন, বিচারপতি সিনহা নিজেই সংসদ এবং বিচারবিভাগের মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে তাঁরা মনে করেন। এইচ.টি. ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মি: ইমাম বিচারপতি সিনহার লেখা বইয়ের নামকরণেরও সমালোচনা করেন। "ব্রোকেন ড্রিমটা জাস্টিস এস কে সিনহা'র নিজের। তার কিছু স্বপ্ন ছিল,সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি, এটাই হলো তাঁর মানে স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস।" মি: ইমাম বলেছেন, "এখন উনি যেগুলো বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে তাঁর রায় এগুলো নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি তাঁর নিজের দিকটা একেবারেই আড়াল করে গেছেন।" "প্রত্যেকটি জায়গায় বিচারপতি সিনহা'র অনধিকারচর্চা। এবং রাষ্ট্র কীভাবে চলবে, প্রধান বিচারপতিরা অনেক সময় ভাল কথা বলেন। কিন্তু এই ধরণের একটা অবস্থান নেয়া, যে আমিই সব। আমিই সব করবো। দ্বিতীয় হলো, এতেও তো হচ্ছে না। অতএব আমাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে হবে, তার পিছনে এই অর্থনৈতিক যতকিছু কর্মকাণ্ড। সবকিছু মিলিয়েই এই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।" সরকারের অনেকে এখন আবার বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে আনছেন। তবে তিনি বইতে লিখেছেন এবং বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁকে না জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ অন্য বিচারপতিদের কাছে তুলে ধরে ধরেছিলেন। আনিসুল হক, আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। "এটাই যদি তিনি বলে থাকেন এবং লিখে থাকেন, তাহলে তিনি সর্বৈব মিথ্যা লিখেছেন। তাঁর কল্পনাপ্রসূত কথাবার্তা লিখেছেন। যারা অন্যান্য মাননীয় বিচারপতি আছেন এবং ছিলেন তখন। তাঁরা কিন্তু কেউই নাবালক নন। কথা হচ্ছে, কোনো চাপ দেয়া হয় নাই। এবং উনি যে রায় দিতে চেয়েছিলেন, সেই রায়ই কিন্তু দিয়েছেন। সেই কথাটাই আমি উল্লেখ করছি এবং সে জন্যই বলছি, তিনি যা লিখেছেন, সেটা সর্ববৈ মিথ্যা।" তবে বিচারপতি সিনহা তাঁর বইয়ে বা বক্তব্যে যে সব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলো সরকারকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন। তারা বলছেন, এটা সরকারের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। কিন্তু এইচ. টি. ইমাম মনে করেন, এর কোনো প্রভাব পড়বে না। "তাঁর সম্পর্কে ,তাঁর যে বিশাল চারিত্রিক দুর্বলতা,তাঁর দুর্নীতি ইত্যাদি মানুষের মুখে মুখে। সবাই তা জানেন। সেজন্য আমার মনে হয় না, এটা কোনো প্রভাব ফেলবে।" বিচারবিভাগের উপর নির্বাহী বিভাগের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রশ্নও বিশ্লেষকদের অনেকে তুলছেন। তা মানতে রাজি নন আইনমন্ত্রী। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, বিচারপতি সিনহার কর্মকাণ্ডই, তাঁর ভাষায়, বিচারবিভাগকে কলুষিত করেছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বই নিয়ে যা বলছে আওয়ামী লীগ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর পরিবারের একজন সদস্য বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, একদিকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের যাওয়ার ব্যাপারে নানা বিধিনিষেধ আছে, অন্যদিকে বর্তমান শারীরিক অবস্থায় খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে বিমানে যেতে পারবেন কিনা- সে ব্যাপারে চিকিৎসকরা এখনও কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। যদিও তাঁর চিকিৎসক তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিএনপি'র একজন নেতা জানিয়েছেন, নানামুখী সমস্যা মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তারা এমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাতে বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়ার ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া যায়। যে সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা যায়নি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টিতে তাঁর পরিবার এবং দল অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারের সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। সরকার বিষয়টি ইতিবাচক এবং মানবিক দৃষ্টি দেখার কথা বললেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি। এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে। সরকারের একটি সূত্র অবশ্য বলছে, আবেদনে উল্লেখ করা মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাতে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়ার চেষ্টা করছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া: রাজনৈতিক যত সফলতা এবং ভুল 'ক্ষমতার লড়াইয়ে জাসদ হেরেছে, জিয়া জিতে গেছে' খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের রাজনীতি কোন পথে? দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্ত আছেন পাসপোর্ট নবায়ন খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে এবং এরপর আর এটি নবায়ন করা হয়নি। এখন দু'দিন আগে তাঁর পক্ষে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট নবায়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশে এখন নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেয়া হয়। পুরনো পদ্ধতির মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়া এখন একেবারে সীমিত করে আনা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। বিএনপির একজন নেতা জানান, ই-পাসপোর্ট করানোর জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট, চোখের স্ক্যান এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া বেশ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর পক্ষ এগুলো সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাঁর ক্ষেত্রে এসব শর্ত শিথিল করে কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে পুরনো ধরনের মেশিন রিডেবল পাসপোর্টই নবায়ন করে দিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে বলে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিধিনিষেধ খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁকে প্রথম লন্ডনে নিতে আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যে সেদেশে বাংলাদেশিদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাঁর পরিবারের একজন সদস্য জানিয়েছেন যে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে নেয়ার বিষয়ে সেখানে আলোচনা চালাচ্ছেন। লন্ডনের বিকল্প হিসাবে সিঙ্গাপুরে নেয়ার বিষয়ও পরিবারের চিন্তায় রয়েছে। তবে এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে যাত্রী যাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এখন সৌদি আরব অথবা খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবিধাজনক কোন দেশ হতে পারে, তেমন বিকল্প দেশের কথাও এখন তাঁর পরিবার এবং দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তির সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ মানার নিয়ম রয়েছে। ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য এবং সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্য বা সিঙ্গাপুরে নেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কোন সমস্যা হবে না বলে তারা মনে করেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘ বিমান যাত্রা নিয়ে সংশয় খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬ বছর এবং তিনি কিছুদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ফলে এখনকার শারীরিক অবস্থায় তিনি বিমানে দীর্ঘ যাত্রা করতে পারবেন কি-না, সে ব্যাপারে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত দেবেন জানান পরিবারের একজন সদস্য। তাঁর একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত জটিলতাগুলোর উন্নতি লক্ষনীয়ভাবে ঘটছে না। প্রায় সবক্ষেত্রে অবস্থা আগের মতোই থাকছে। সেজন্য তাঁর বিমানে দীর্ঘ যাত্রা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। লন্ডনের যাওয়ার মতো দূরের যাত্রার সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে তারা আবারও সবকিছু পরীক্ষা করে দেখবেন বলে তিনি জানান। এই চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন যে খালেদা জিয়ার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা এখন চলছে। সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। লন্ডনে বা অন্য কোন দেশে নেয়া হলে হাসপাতাল পাওয়া যাবে কি-না, সেই প্রশ্নও রয়েছে। তবে এ বিষয়টিও তারেক রহমান দেখছেন বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। গত ১১ই এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সে সময় সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তাঁর ফুসফুসে পাঁচ শতাংশে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর গত ২৫শে এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হলে সেখানেও তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে জটিলতা দেখা দেয়ায় গত ২৭শে এপ্রিল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া: বিএনপি নেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ছাড়াও যেসব জটিলতা রয়েছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালের ২৩শে অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেকে পাস করা হয় ওই উন্নয়ন প্রকল্পটি। যাতে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৪শ ৪৫ কোটি টাকা। বলা হয়, অনুমোদনের পর পরবর্তী সাড়ে তিন বছরে বাস্তবায়ন করা হবে এই প্রকল্পটি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নত 'মডেল' বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এমন প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা জানানো হয়। এরইমধ্যে প্রকল্পটির অধীনে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পটি যখন পাশ হয়, তখন একে 'অস্বচ্ছ' দাবি করে আন্দোলন-প্রতিবাদও করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষক। গত বছর একই সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ৪৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮ হাজার ৮৮ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। যার মধ্যে উন্নয়ন বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৯৯কোটি টাকা। কিভাবে হলো এতো বড় প্রকল্প? একাডেমিক, আবাসিক এবং অন্যান্য সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য উপযুক্ত শিক্ষাদান ও শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প নেয়া হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা বলা হয় এই এ প্রকল্পে। এ বিষয়ে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ জানান, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৩১৫ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। স্থপতি মাজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে যে মাস্টার প্ল্যান দিয়েছিলেন সেটাকে ভিত্তি করেই ওই পরিকল্পনাটি দেয়া হয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রকল্প অধীনে যা তৈরি হবে গত বছর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটির অধীনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বহুতল বিশিষ্ট ৪১টি সুপরিসর স্থাপনা নির্মিত হবে। তবে মি. আহমেদ বলেন, মোট স্থাপনার সংখ্যা ৪১টি নয় বরং প্রকল্প অনুযায়ী ২৩টি স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, "আবাসিক হল, লাইব্রেরী, লেকচার থিয়েটার, গেস্ট হাউস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টারসহ মোট ২৩টি স্থাপনা এই প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে"। এছাড়া অডিটোরিয়াম, মুক্ত মঞ্চ এবং শিক্ষার্থীদের ১২টি হলের সংস্কার কাজ হওয়ারও কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যেসব স্থাপনার কথা বলা হয়েছে তা হলো.. •প্রতিটিতে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল •দু'টি খেলার মাঠ •৪ হাজার শিক্ষার্থীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লেকচার থিয়েটার এবং পরীক্ষার হল ভবন •৪ তলা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া কমপ্লেক্স •৬ তলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগার •একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ •১০ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন •১০ তলা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের গেস্ট হাউজ কাম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ হাউজ •শিক্ষক, কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য ১১তলা বিশিষ্ট আবাসিক টাওয়ার •বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণ এবং ট্রান্সফরমার স্থাপন •পথচারীদের জন্য নান্দনিকতাপূর্ণ নিরাপদ রাস্তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নির্মাণ কাজগুলো সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোগত আমূল পরিবর্তন হবে। যার ফল স্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হবে 'মডেল' বিশ্ববিদ্যালয়ে। উন্নয়ন প্রকল্প পাস হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে এ সম্পর্কিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় 'সবচেয়ে অস্বচ্ছ প্রকল্প' প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকেই এই উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতি, পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মির্জা তাসলিমা সুলতানা অভিযোগ করেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী উন্নয়ন করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য দেয়া হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে প্রকল্প সম্পের্ক যা কিছু জানানো হয়েছে তাও প্রকল্পের সম্পূর্ণ চিত্র নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, "শোনা যাচ্ছে নানান কথা যে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাসস্থান হবে। কিন্তু এর মধ্যে আর কি কি আছে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়নি আমাদের কাছে।" জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর উন্নয়নে এখনো পর্যন্ত এতো বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়নি। এই প্রকল্পটিকে সবচেয়ে বড় অস্বচ্ছ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, "এর আগে যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো সেগুলো নিয়েও কিছু অস্বচ্ছতা ছিলো। কিন্তু বর্তমান প্রকল্পটির মতো এতো বেশি অস্বচ্ছ আর কোন প্রকল্পই ছিলো না"। তবে প্রকল্প নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এই প্রকল্পে কাজ করেছে। তারা এই প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তারপর এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে সবশেষ একনেক কমিটির মাধ্যমে পাস হয়েছে। তাই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। আরো খবর: ছাত্রলীগ নেতৃত্বের উপর প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ যে দশ লক্ষণ দেখে বুঝবেন একটি দেশ গণতান্ত্রিক নয় নিজের বয়স নিয়ে যা বললেন আফগান বোলার রশিদ খান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কী তৈরি করা হচ্ছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
আলাচিত বই- 'দ্য স্পাই ক্রনিকলস' 'দ্য স্পাই ক্রনিকলস' নামে ওই বইটিতে কোনও গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, তা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই বইটির অন্যতম লেখক জেনারেল আসাদ দুরানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ও তার বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বইটির আর এক লেখক, র- এর সাবেক প্রধান এ এস দুলাত জানিয়েছেন, তারা দুজনেই অনেক বছর আগে অবসর নিয়েছেন - তাই বইটিতে সাম্প্রতিক কোনও গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করার প্রশ্নও নেই। তবে তার পরও অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান থেকে শুরু করে পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ - এরকম বহু বিষয়ে এই বইয়ের বক্তব্য নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে তুমুল আলোচনা চলছে। র এবং আইএসআই-এর দুজন সাবেক প্রধান যে মুখোমুখি বসে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন এবং তাদের সেই কথাবার্তা বইয়ের আকারে প্রকাশিত হতে পারে - এই ভাবনাটাই প্রায় অকল্পনীয়। কিন্তু দিল্লির সাংবাদিক আদিত্য সিনহা সেটাকেই সম্ভব করেছেন, গত আড়াই-তিন বছর ধরে জেনারেল আসাদ দুরানি ও অমরজিৎ সিং দুলাতকে নিয়ে ব্যাঙ্কক, ইস্তাম্বুল, কাঠমান্ডুর মতো বিভিন্ন তৃতীয় দেশের শহরে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করিয়ে সেই আলোচনার নির্যাস প্রকাশ করেছেন 'দ্য স্পাই ক্রনিকলস' বইটিতে। মি. দুলাত জানাচ্ছেন, বৈঠকগুলোর সময়েও তিনি তার চেয়ে সিনিয়র জেনারেল দুরানিকে বস বলে ডাকতেন। "কিন্তু বস ঠাট্টা করে বলতেন, এ এতো হারামি - যে আমাকে বস বলে ডাকে কিন্তু তার পর কোনও ব্যাপারেই আমার সঙ্গে একমত হয় না!" আরো পড়তে পারেন: প্যারিসের ব্যালকনিতে বাচ্চাটি ঝুলছিল কেন? বাংলাদেশে খাদ্যে ফরমালিন: বাস্তবতা নাকি বিভ্রান্তি? শাড়ি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ৪২ বছর পর অর্থাৎ বইটা হালকা আড্ডার চালে লেখা হয়েছে বলে তিনি বোঝাতে চাইলেও বিশেষ করে পাকিস্তানে এই বইয়ের বক্তব্য নিয়ে তুমুল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। যেমন, বইটিতে জেনারেল দুরানি লিখেছেন 'সম্ভবত' পাকিস্তানি গোয়েন্দারাই বিন লাদেনকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছিল - যা পাকিস্তানের সরকারি অবস্থানের ঠিক উল্টো। ভারতের পোখরান পরমাণু বিস্ফোরণের নির্দিষ্ট খবর পাকিস্তানের কাছে ছিল না বলেও তিনি বইটিতে স্বীকার করেছেন। ওসামা বিন লাদেন, পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণের মতো বিষয়েও লিখেছেন তারা। তিনি একটি ভারতীয় চ্যানেলকে বলেন, "বিজেপি যখন প্রথমবার ভারতের ক্ষমতায় আসে তখনই আমি প্রকাশ্যে বলেছিলাম তারা পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাবে। কারণ ঘটনাপ্রবাহ সেদিকেই এগোচ্ছে। তবে এটাও ঠিক পোখরান অঞ্চলের ওপর আমরা নজর রাখছিলাম না, আর তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও আমাদের কাছে ছিল না।" গতকালই পাকিস্তান সেনা সদর দফতরে জেনারেল দুরানিকে ডেকে পাঠিয়ে এই বইটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে - তারপর বসানো হয়েছে তদন্ত কমিটি। আগামী সপ্তাহে দিল্লির একটি থিঙ্কট্যাঙ্কে এই বইটি নিয়ে আলোচনা করতে তার ভারতে আসার কথাও ছিল, আপাতত বাতিল সেই সফরও। বিবিসির পাকিস্তান সংবাদদাতা সেকান্দর কিরমানি বলছেন, সে দেশের অনেক রাজনীতিকই মনে করছেন তারা এরকম কোনও বই লিখলে এতক্ষণে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা শুরু হয়ে যেত - সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমাদ দুরানি বরং অল্পেই পার পাচ্ছেন। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে যেভাবে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান হতাশা আর কষ্ট থেকে চলে এসেছি: আবুল বাজানদার জার্মানি ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন যে সিরিয়ানরা ভারতে বইটির সহ-লেখক এ এস দুলাত দাবি করছেন এই বইতে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করার অভিযোগটাই আসলে ভিত্তিহীন। তার কথায়, "গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমি অবসর নিয়েছি আঠারো বছর আগে, ফলে আমাকে বলতে পারেন গোয়েন্দার ফসিল।" "জেনারেল দুরানি তো আইএসআই প্রধান ছিলেন ছাব্বিশ বছর আগে - ফলে আমরা আবার কী ফাঁস করব? আমরা আড়াই বছর ধরে, তিরিশ ঘণ্টা কথাবার্তা বলে এই বইটার কাঠামো দাঁড় করিয়েছি, এই পর্যন্ত।" ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মায়া মিরচন্দানি আবার মনে করছেন, আসলে দুই শত্রু দেশের এক সময়কার গোয়েন্দা প্রধানরা ঘরোয়া আলোচনায় দুদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো নিয়ে খোলাখুলি কথাবার্তা বলছেন, এই জিনিসটাই বইটাকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি করেছে। "কাশ্মীরের এখন যা পরিস্থিতি, সেই টাইমিংটাও তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে - আর অনেকেই মনে করছেন দুই সাবেক গোয়েন্দা হয়তো কিছু গোপন সরকারি তথ্যও ফাঁস করেছেন", বলছিলেন মিস মিরচন্দানি। বইটি লেখার পেছনে উদ্দেশ্য যা-ই থাকুক, পাকিস্তানে জেনারেল দুরানিকে প্রায় আশি ছুঁই-ছুঁই বয়সে হেনস্থা হতে হচ্ছে - আর ভারতেও এ এস দুলাতকে চ্যানেলে চ্যানেলে গিয়ে সাফাই দিতে হচ্ছে গোপনীয়তার শর্তভঙ্গ করে, এমন কিছুই তারা তাতে লেখেননি।
ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানদের একসঙ্গে লেখা বই নিয়ে তোলপাড়
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন যে বহু বছর ধরে উপমহাদেশে ভারতের পরিচিতি ছিল 'ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির' একটি মডেল হিসেবে। তবে তিনি মনে করেন যে ভারতে "পরপর দুটো নির্বাচনে বিজেপির জয় বাংলাদেশের সেক্যুলার রাজনীতি যারা করতে চায়, তাদেরকে চিন্তায় ফেলবে।" অধ্যাপক জাহানের মতে, বাংলাদেশ সরকার চাইবে ভারত সরকারের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার। কিন্তু ভবিষ্যতে সে সম্পর্ক কোন দিকে যাবে, সেটি নির্ভর করছে বিজেপি সরকারের মনোভাবের উপর। "ভারতে যদি সেক্যুলার রাজনীতি না চলে, এবং তারা যদি আমাদের চারিদিকে বিদ্বেষের রাজনীতি নির্বাচনে জেতার জন্য আরম্ভ করে দেন, তখন সরকারের পক্ষে সে জিনিসটা ম্যানেজ করা আরো অসুবিধা হবে," বলছিলেন রওনক জাহান। দ্বিতীয় দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ভারতে যেভাবে দিনকে দিন শক্তিশালী হচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশের উপরে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা ভারতের রাজ্যগুলোতে এবারের নির্বাচনে বিজেপি বেশ ভালো ফলাফল করেছে। ভারতে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান হলে, বাংলাদেশ সরকার চাইলেও কি ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নাও হতে পারে? - এমন এক প্রশ্নে তেমন আশংকা একেবারে উড়িয়ে দেননি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী। বাংলাদেশের সব সরকারই চাইবে যে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। তবে বাংলাদেশের সরকারকে দেশের জনগণের মনোভাবের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোন কনসেশন বা ছাড় পাচ্ছে না বলে মনে করেন অধ্যাপক জাহান। এ ক্ষেত্রে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের অনাগ্রহকে একটি বড় উদাহরণ হিসেবে তিনি মনে করেন। নাগরিকত্ব সংশোধন বিল-এর বিরুদ্ধে আসামে বিক্ষোভ। সাম্প্রতিক বছরে ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে যে ৪০ লাখ মানুষ 'অবৈধভাবে' সেখানে বসবাস করছে, যাদের বেশিরভাগ মুসলমান। বিভিন্ন সময় বিজেপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন যে 'অবৈধভাবে' যারা আসামে বসবাস করছেন, তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। নির্বাচনের প্রচারণার সময় বিজেপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আসামের মতো 'নাগরিকত্ব যাচাইয়ের' কাজ পশ্চিমবঙ্গেও তারা করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে রওনক জাহান বলেন, "তাদের নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য মুসলমানদের উপরে কিংবা বাঙালিদের উপরে তারা যে ধরণের স্লোগান ব্যবহার করছেন, এগুলো হলে আমাদের সাধারণ মানুষ তো খুব বিক্ষুব্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের সরকার তো কখনোই চাইবে না ভারতের সাথে সম্পর্ক বিরূপ হোক। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের সেন্টিমেন্টকে তো তাদের দেখতে হবে।" এ বিষয়টি বাংলাদেশে সরকারের জন্য এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। ভারতে বিজেপি যদি মুসলিম-বিরোধী কথাবার্তা জোরালো করে, তাহলে সে বিষয়টি বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি'র উত্থানের তাৎপর্য কী? আবার মোদী সরকার: কী প্রত্যাশা হবে বাংলাদেশের? ধানের দাম: সংকট অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে সরকার?
ভারতে নরেন্দ্র মোদীর জয় বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে, বলছেন রওনক জাহান
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইয়াবা এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ মাদক কক্সবাজার জেলার তালিকাভুক্ত প্রায় সহস্রাধিক মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে শনিবার বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছে মাত্র ১০২ জন। পুলিশ বলছে এরপরেও যারা মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসবেনা তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে তারা। তবে যেখানে ইয়াবা বা এ ধরণের মাদকে বিরুদ্ধে সম্প্রতি কঠোর আইন হয়েছে সেখানে সরাসরি আইনি পন্থায় না গিয়ে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়ার সমালোচনা করছেন মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী। তিনি বলছেন, "অনেক সময় ডাকাত বা এ ধরনের অপরাধীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এখানে কিন্তু এই অপরাধীরা থেকেই যাবে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ভাবে মাদক পাচার বন্ধ করা যাবেনা"। বদির তিন ভাইসহ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ যে যমজ শিশুর বাবা দুইজন ভিন্ন মানুষ জামায়াত বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে রাজ্জাকের পদত্যাগ সালমা আলী বলছেন টেকনাফ অঞ্চলে মাদক ব্যবসায়ীদের এমন সহজ ভাবে দেখার সুযোগ নেই। বরং তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আইনি পন্থা গ্রহণ করা দরকার এবং এজন্য বিশেষভাবে দক্ষ কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া উচিত যারা দীর্ঘমেয়াদে মাদক ও মানব পাচারে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। তবে অপরাধ বিষয়ক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের শিক্ষক শাহারিয়া আফরিন বলছেন আগে অনেক অভিযান হয়েছে কিন্তু তাতে করে খুব বেশি সুফল আসেনি। তিনি মনে করেন হয়তো সে কারণেই আত্মসমর্পণের কৌশল নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, "মাদক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা তাই যত ভাবে চেষ্টা করা যায়। তবে সব অপরাধের ক্ষেত্রে সব পদক্ষেপ কাজে লাগেনা। অভিযান তো অনেক হলো। তাই এবার হয়তো পুলিশ ভেবেছে দেখি এই কৌশলে কাজ হয় কি-না"। শনিবার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের পর পুলিশ জানিয়েছিলো যে তাদের কাছে থাকা 'ইয়াবা গড ফাদারদের' তালিকায় যে ৭৩ জনের নাম আছে, তাদের ৩০ জন আত্মসমর্পণ করেছে। আর সাথে যে বাকী ৭০ জন আত্মসমর্পণ করেছে তারা পুলিশের ব্যাপক অভিযানের কারণেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। জেলা পুলিশ সুপার বি এম মাসুদ হোসেন বিবিসিকে বলছেন যে এই আত্মসমর্পণকে নেতিবাচকভাবে দেখার সুযোগ নেই। বরং আত্মসমর্পণের পর তারা নিজেরাও পুলিশকে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে সেগুলো তারা নিজেরাই সেগুলো মোকাবেলা করবে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে 'ইয়াবা ব্যবসায়ীরা' তিনি বলেন, "তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য পেয়েছি। কারা গোপনে বা নতুন করে ব্যবসা করছে তাদের নাম পেয়েছি। হুন্ডি কিভাবে হয়। এসব তথ্য সামনে আমাদের কাজে লাগবে"। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের আত্মসমর্পণের আগে কিছু শর্ত মেনেই সেটা করেছে। এখন সেই শর্ত পালন করলে ওই অঞ্চলে মাদক বিরোধী অভিযান সামনে আরও কার্যকর হবে। তিনি বলেন, "এখন অভিযান করতে সুবিধা হবে। আত্মসমর্পণ যারা করেছে তারা শর্ত মানলে ভালো, না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে"। আইনজীবী সালমা আলী অবশ্য বলছেন, মাদককে আলাদা করে দেখলে এটি প্রতিরোধ কঠিন হবে কারণ গত কয়েক বছরে মাদক ও মানব পাচার এমন পর্যাযে পৌঁছেছে যে আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ ছাড়া আর কোনো কৌশলই খুব বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেননা তিনি।
ইয়াবা: আত্মসমর্পণ কৌশল কতটা কাজে লাগবে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
. ইংল্যান্ডের স্যালসবেরি শহরে চৌঠা মার্চ সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়েকে বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যার এক চেষ্টার পর ব্রিটেন এবং রাশিয়ার সম্পর্ক বিপজ্জনক মোড় দিয়েছে। মি স্ক্রিপাল গোপনে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই সিক্সকে তথ্য সরবরাহ করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বন্দি গুপ্তচর বিনিময়ের অংশ হিসাবে মুক্তি পেয়ে ব্রিটেনে আশ্রয় পেয়েছিলেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে তদন্তের পর গতকাল (সোমবার) রাতে সংসদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঐ বিষের উৎস রাশিয়া। তিনি হুমকি দিয়েছেন মঙ্গলবারের মধ্যে পুতিন সরকারের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না পেলে রাশিয়াকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। অধিকাংশ পর্যবেক্ষকই মনে করছেন, মি পুতিন এই হুমকিকে কোনো পাত্তাই দেবেন না। ইতিমধ্যেই রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে 'রাজনৈতিক সার্কাস' বলে পরিহাস করেছেন। এখন প্রশ্ন - রাশিয়াকে কীভাবে শাস্তি দিতে ব্রিটেন? আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনার জন্যে পরিচিত ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট 'ল্যান্ড করা নিয়ে কি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল?' বিষ প্রয়োগের পর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে এখন হাসপাতালে ডাইরেক্ট অ্যাকশন রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করতে পারে ব্রিটেন। এর আগে ২০০৬ সালে অ্যালেক্সান্ডার লিতভিয়েঙ্কো নামে আরেক রুশ ডাবল এজেন্টকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর ব্রিটেন তেমন পদক্ষেপই নিয়েছিলো। সন্দেহভাজন কয়েকজন রুশ নাগরিকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তেমন কোনো চাপ তাতে তৈরি হয়নি। বরঞ্চ প্রধান সন্দেহভাজন অন্দ্রে লুগোভোই এখন রাশিয়ার একজন এমপি। তাহলে আর কী করতে পারে ব্রিটেন? -রুশ রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসে যেসব কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা বলে সন্দেহ করা হয় তাদের বহিষ্কার করতে পারে। -ব্রিটেনে বসবাসরত রুশ ধনকুবেরদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করতে পারে। -রাশিয়ায় আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট করতে পারে ব্রিটেন, কিন্তু মিত্র দেশগুলো তাতে আগ্রহী হবে তা মনে হয়না। -রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটি'র সম্প্রচার ব্রিটেনে নিষিদ্ধ করতে পারে। রাশিয়ার ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞার বিস্তার? ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে নেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপায়। প্রায় ১৫০ জন রুশ নাগরিকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়, এবং ৩৮টি রুশ কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ সদস্যদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইটালি, গ্রীস এবং হাঙ্গেরি এই নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর পক্ষে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ব্রিটেন যেখানে ইইউ জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সেখানে রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ব্যাপারে তাদের অনুরোধে সাড়া না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। স্যালসবেরিতে ব্যাপক তদন্ত চালানো হয়েছে নেটো সামরিক জোট ব্যবস্থা নিতে পারে? ব্রিটেন এই বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টাকে তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার 'অবৈধ শক্তি প্রয়োগ' হিসাবে দেখছে । নেটো সামরিক জোটের সংবিধানের ৫ ধারায় রয়েছে - কোনো সদস্য দেশের বিরুদ্ধে হামলাকে জোটের বিরুদ্ধে হামলা হিসাবে দেখা হবে। এই ধারা একবারই কার্যকরী করা হয়েছিলো আমেরিকায় ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর। তবে ব্রিটেন এখনও স্যালসবেরির ঘটনাকে আর্টিকেল ৫ বিষয় বলে দেখাতে চাইছে না। তবে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সদস্য দেশগুলোতে অতিরিক্ত সৈন্য এবং অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে নেটো জোট। মিত্র দেশগুলোর সমর্থন কতটা? ফরাসী প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। গতানুগতিক বক্তব্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্র। আমেরিকা স্যালসবেরির ঘটনার নিন্দা করেছে তবে রাশিয়ার নাম উচ্চারণ করেনি। রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্রিটেন পশ্চিমা মিত্রদের কতটা পাশে পাবে তা দিয়ে অনেক পর্যবেক্ষকের সন্দেহ রয়েছে।
গুপ্তচরকে বিষ প্রয়োগ: রাশিয়াকে কীভাবে শাস্তি দিতে পারে ব্রিটেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে সরে দাঁড়ালো ইংল্যান্ডের 'বিগ সিক্স' ম্যানচেস্টার সিটি প্রথম ক্লাব হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের খাতা থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে ফেলার উদ্যাগ নেয়। এই ক্লাবটিকে অনুসরণ করে চেলসিও কাগজপত্র প্রস্তুত করে এই নতুন লিগ থেকে নাম সরিয়ে নেয়ার। এরপর একে একে আর্সেনাল, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটসপারও ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে নাম সরিয়ে নেয়। গত রবিবার ইউরোপের ১২ ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ তৈরির ঘোষণা দেয়, যা বিশ্বব্যাপী ফুটবল কোচ, খেলোয়াড়, ভক্ত ও বিশ্লেষকদের সমালোচনার মুখে পড়ে। ম্যানচেস্টার সিটি নিশ্চিত করেছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সুপার লিগ থেকে সরে এসেছে। লিভারপুল বিবৃতিতে জানিয়েছে সুপার লিগের সাথে তাদের যাত্রা এ পর্যন্তই। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের কাছে চেলসি ভক্তদের বিক্ষোভ আর্সেনাল একটি খোলা চিঠি লিখেছে ভক্তদের উদ্দেশ্যে, যেখানে তারা বলেছে একটি ভুল হয়ে গেছে তাদের এবং বৃহত্তর ফুটবল কমিউনিটির কথা শুনেই তারা নাম সরিয়েছে সুপার লিগ থেকে। টটেনহ্যাম হটসপারের চেয়ারম্যান ডেনিয়েল লেভি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন এই প্রস্তাবের ফলে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা ক্লাবের জন্য হতাশাজনক। ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার কেফেরিন সবগুলো ক্লাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউরোপিয়ান ফুটবলকে এখনো অনেক দেয়ার আছে এই ক্লাবগুলোর। তিনি বলেন, "এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।" ইংল্যান্ডের এই 'বিগ সিক্স' ছাড়াও সুপার লিগে যুক্ত হয় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা, রেয়াল মাদ্রিদ, আতলেটিকো মাদ্রিদ, ইতালির এসি মিলান, ইন্টার মিলা ও জুভেন্টাস। ফুটবল ভক্তরা, ফুটবল সংশ্লিষ্টরা, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা পর্যন্ত এই সুপার লিগের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। ব্রাইটনের বিপক্ষে চেলসির ম্যাচের আগে কমপক্ষে এক হাজার ভক্ত জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করে। চেলসির কিংবদন্তী গোলরক্ষক পিতর চেক নিজে এসে ভক্তদের বোঝান যাতে তারা সরে যায়। চেলসির কিংবদন্তী গোলরক্ষক পিতর চেক নিজে এসে ভক্তদের বোঝান যাতে তারা সরে যায়। ওদিকে এই ঘটনার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইডের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এড উডওয়ার্ড ২০২১ সালের শেষে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি ক্লাবের কোচ ও শীর্ষ ফুটবলাররা নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। লিভারপুল কোচ য়ুর্গেন ক্লপ সরাসরি বলেছেন এই সুপার লিগ ফুটবলের জন্যই হতাশাজনক, ক্লাবটির অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন লিখেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যে সমষ্ঠিগতভাবেই লিভারপুলের ফুটবলাররা চান না যে সুপার লিগ হোক। ম্যানচেস্টার সিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পরে ক্লাবটির ফুটবলার রাহিম স্টারলিং, "ওকে বাই" লিখে একটি টুইট করেন। ওদিকে রেয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ গতকাল বলেন ফুটবল বাঁচাতেই নিয়ে আসা হয়েছে এই সুপার লিগ। পেরেজ এই সুপার লিগের চেয়ারম্যান। তবে ইংলিশ ক্লাবগুলো সরে দাঁড়ানোর পরে স্প্যানিশ বা ইতালিয়ান ক্লাবগুলো কোন বিবৃতি দেয়নি। কী আছে এই সুপার লিগে? এই লিগে থাকবে ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব নাম দিতে যাচ্ছে এখানে। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলবে ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে। প্রতি বছরই অগাস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হবে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হবে। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ক্লাবগুলো। কেন সুপার লিগ নিয়ে এত আপত্তি? সুপার লিগের ঘোষণা আসার সাথে সাথে এটি ফুটবলের বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে। প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি বড় ক্লাব এই সুপার লিগের অংশ, সেই প্রিমিয়ার লিগ বলেছে, এই সুপার লিগ যে কোনো ভক্তের কাছে স্বপ্নভঙ্গের মতো। যে প্রক্রিয়ায় একটি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে এবং সেরা ক্লাবগুলোর সাথে খেলে সেই প্রক্রিয়া এবং কাঠামোই ভেঙ্গে দেবে এই সুপার লিগ। বুন্দেসলিগা অর্থাৎ জার্মান লিগে কোনো ক্লাব চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কারণ জার্মান ফুটবল মডেল অনুযায়ী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ক্লাবের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভক্তদের ভোটের প্রয়োজন হয় জার্মানিতে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল এই পরিকল্পনার ওপর 'পুরোপুরি বীতশ্রদ্ধ' ছিলেন। "আমি চল্লিশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্ত এবং আমি এটা নিয়ে প্রচন্ড নাখোশ।" নেভিল এই ক্লাবগুলোর মালিকদের 'বেইমান' বলে অভিহিত করে বলেন, "এটা কেবলই লোভ।" এই সুপার লিগ ক্লাবগুলোর যে সমর্থকগোষ্ঠী তারাও সুপার লিগের বিপক্ষেই মত দিয়েছেন। লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেন্যাম- সবগুলো ক্লাবের ভক্তরাই আপত্তি জানিয়েছে এই পরিকল্পনার। 'ঘোরতর বেইমানি' বলছেন তারা।
ফুটবল: লিভারপুল, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইটেড সহ প্রিমিয়ার লিগের সবগুলো ইংলিশ ক্লাব সরে দাঁড়ালো ইএসএল থেকে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সিআইএ'র ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারা এই এর প্রমাণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, এরকম একটি হত্যাকান্ড ঘটানোর অভিযান কেবলমাত্র যুবরাজের অনুমতি নিয়েই হতে পারে। তবে সৌদি আরব এরকম দাবিকে মিথ্যা বলে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, যুবরাজ এই হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শনিবার বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকারীদের বিচার হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও (বাঁয়ে) এবং সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল আল জুবেইর (মাঝখানে) এর সঙ্গে যুবরাজের ভাই খালেদ বিন সালমান (ডানে)। পাপুয়া নিউ গিনিতে এক সম্মেলনে অংশ নেয়ার সময় তিনি বলেন, "এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের সবাইকে এর দায় নিতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" অক্টোবরের ২ তারিখে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগজিকে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুরস্ক বলছে, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ যে সরাসরি সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে এসেছে, সেটি সিআইএ ধারণা করছে অংশত একটি ফোন কলের ভিত্তিতে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স খালেদ বিন সালমান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত, তিনি নাকি জামাল খাসোগজিকে ফোন করেছিলেন। জামাল খাসোগজির মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুবরাজের নির্দেশেই নাকি তিনি খাসোগজিকে ফোন করে আশ্বাস দেন যে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তিনি যেতে পারেন, তার কোন বিপদ হবে না। তবে রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান দাবি করছেন, জামাল খাসোগজির সঙ্গে এক বছর ধরে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। জামাল খাসোগজির হত্যাকান্ড সম্পর্কে সিআইএ'র এই সর্বশেষ মূল্যায়ন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোন মন্তব্য করেনি।
'খাসোগজি হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং সৌদি যুবরাজ': সিআইএ'র রিপোর্ট
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম প্রাইমটাইম ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তবে তিনি এমন দিনে ভাষণ দিলেন এক বছর আগে এই দিনেই কোভিড-১৯-কে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মিস্টার বাইডেন সব রাজ্যকেই আগামী পহেলা মে'র মধ্যে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম সব নাগরিককে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। "আমরা যদি ৪ঠা জুলাইয়ের মধ্যে এটা একসাথে করতে পারি, তাহলে আপনার নিজের, পরিবারের ও বন্ধুদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মিলিত হওয়ার ভালো সুযোগ আছে," মিস্টার বাইডেন বলছিলেন। তিনি বলেন, তার দেশ শুধু স্বাধীনতা দিবস উদযাপনেই নয় বরং 'করোনা ভাইরাস থেকেই স্বাধীনতা অর্জনের' জন্য সক্ষম হবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: একশো দিনের মধ্যে একশো মিলিয়ন টিকার প্রতিশ্রুতি দিলেন বাইডেন মিয়ানমারের ভেতর কী হচ্ছে তার প্রথম বিবরণ বিবিসির কাছে অং সান সু চি ছয় লাখ ডলার ও সোনা নিয়েছেন, অভিযোগ সেনাবাহিনীর টিকা নেবার পর কোভিড সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে কত দিন লাগে? ক্ষমতায় যাওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা দেয়ার কথা বলেছিলেন মি. বাইডেন দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তাতে টিকাদান কেন্দ্র ও টিকা দেয়ার জন্য জনবলও বাড়ানো হবে। এছাড়া কিছু ভ্রাম্যমাণ টিম গিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদান করবেন। এর আগে মিস্টার বাইডেন তার শপথ গ্রহণের একশ দিনের মধ্যে দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার কথা বলেছিলেন। তবে এবার তার ভাষণে তিনি বলেছেন, সেই টার্গেট ৬০ দিনেই অর্জিত হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানা বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখ, হাত ধোয়া ও মাস্ক পরতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। "ভাইরাসকে পরাজিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জাতীয় ঐক্যের ওপর নির্ভর করছে," তিনি বলেন। এ মাস থেকেই জনপ্রতি ১,৪০০ ডলার দেওয়া শুরু হবে এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদন পাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেন। ওই বিল অনুযায়ী, জনপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এই প্রণোদনা চলতি মাস থেকেই শুরু হবে। মিস্টার বাইডেন বলেছেন ত্রাণ প্যাকেজ তার 'দেশের মেরুদণ্ড' পুনর্গঠন করবে একই সাথে রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য সাড়ে তিনশ বিলিয়ন ডলার, স্কুল খোলার জন্য ১৩০ বিলিয়ন ডলার, করোনা টেস্ট সুবিধা ও গবেষণার জন্য ৪৯ বিলিয়ন ডলার এবং টিকা বিতরণের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। মিস্টার বাইডেন বলেন, এই ত্রাণ প্যাকেজ তার 'দেশের মেরুদণ্ড' পুনর্গঠন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই প্রণোদনা প্যাকেজ রিপাবলিকানদের সহায়তা ছাড়াই পাস হয়েছে কংগ্রেসে। রিপাবলিকানরা এই বিলের সমালোচনা করে শুধু যারা আয় হারিয়েছে- তাদের সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ৫ লাখ ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছে, আর আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।
করোনা ভাইরাস: আমেরিকাকে ৪ঠা জুলাইয়ের আগে করোনা মুক্ত করার পরিকল্পনা বাইডেনের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
২০১৪ সালে আইক্লাউড হ্যাক করে চুরি করা জেনিফার লরেন্সের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। রায়ান কলিনস নামের ৩৬ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি ৬ শ'রও অধিক মানুষের নাম এবং পাসওয়ার্ড চুরি করেন। তার চৌর্যবৃত্তির শিকার যারা হয়েছেন তারমধ্যে নামজাদা অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স, কেট আপটন, স্কারলেট জোহানসনের এবং ক্রিস্টেন ডান্‌স্টকে তিনি প্রতারণামূলক ই-মেইলও পাঠিয়েছেন। মি. কলিনস এদেরকে গুগুল কিংবা অ্যাপলের কর্মী সেজে ই-মেইল করতেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন তারকার ছবি চুরির এই ঘটনা 'সেলেবগেট' নামে পরিচয় পায়। ছবি চুরির শাস্তি পেলেও ছবি ফাঁসের কোন অভিযোগ আনা হয়নি মি. কলিনসের বিরুদ্ধে। যদিও আইক্লাউড হ্যাক করে চুরি করা জেনিফার লরেন্সের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগ আছে, যা ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সেলেব্রিটিদের নগ্ন ছবি চুরির খেসারত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পার্লামেন্টে আন্ডারওয়্যার তুলে ধরে প্রতিবাদ জানানো হয় এভাবে। বিচার চলাকালে আদালতে অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী বিচারকদের বলেন: "তার পোশাক কেমন ছিল সেটি আপনাদের দেখতে হবে। সে একটি থং (এক ধরনের আন্ডার গার্মেন্টস) পরা ছিল যার সামনের দিকে ছিল লেস লাগানো"। ২৭ বছর-বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তিটি এরপর ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হননি। এই বিতর্কের জেরে একজন আইরিশ সংসদ সদস্য একটি লেসের তৈরি থং পার্লামেন্টে তুলে ধরেন এবং এর মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনায় "নিয়মিতভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপের" ঘটনাকে সামনে তুলে ধরেন। রুথ কোপিংগার আইরিশ পার্লামেন্টে নীল লেস লাগানো অন্তর্বাসটি তুলে ধরেন মঙ্গলবার। "এখানে এভাবে এই থং প্রদর্শনের বিষয়টি নি:সন্দেহে বিব্রতকর...কিন্তু যখন একজন ধর্ষণের শিকার মানুষ বা একজন নারীর অন্তর্বাস আদালতে প্রদর্শন করা হয় সেই অন্যায্য ঘটনার ক্ষেত্রে তার কেমন অনুভূতি হয় বলে আপনারা মনে করেন?" বিচারে কী ঘটেছে? যে মামলায় অভিযুক্ত লোকটিকে ধর্ষণের ঘটনা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে, তা আইরিশ পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন যে, তার এবং মেয়েটির মধ্যে যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল সেটি ঘটেছিল দুজনের সম্মতিতেই। তার সিনিয়র পরামর্শক এলিজাবেথ ও'কনেল আদালতে তুলে ধরেন, যা ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অনলাইনে সিরিজ ধারাবাহিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়। "এই প্রমাণাদি কি এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে যে মেয়েটি আসামিকে আকৃষ্ট করেছিল এবং কারও সাথে সাক্ষাত করার জন্য এবং কারো সাথে থাকার জন্য ?" সে প্রশ্ন তোলে। আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে সে কোন ধরনের কাপড় পরতো। সে এমন একটি থং পরেছিল যেটির সামনের দিকে লেস লাগানো।" বিক্ষোভের শুরু যেভাবে আদালতের রায়ের ওপর প্রকাশনাটি প্রকাশের পরপরই ব্যারিস্টারের যুক্তিতর্ক সমালোচনা করেন ডাবলিনের রেপ ক্রাইসিস সেন্টার-এর প্রধান । যদিও তিনি রায় নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেননি, তিনি আইনি ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তুলেছেন। অব্যাহত মিডিয়া নজরদারির মধ্যে আইরিশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা আদালতে এ ধরনের বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে। আদালতে এ ধরনের কৌশল উপস্থাপনের প্রতিবাদে আইরিশ নারীরা 'হ্যাশট্যাগ দিস ইজ নট কনসেন্ট' দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের আন্ডার গার্মেন্টস এর আকৃতি, রং এবং ম্যাটেরিয়াল এর ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন।। অনেকেই অন্যান্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন যেসব দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং ধর্ষণের বিচারে কী ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারকরা তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিতে পারেন। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পার্লামেন্টে লেস লাগানো আন্ডারওয়্যার প্রদর্শনের পর মিজ কপিংগার একজন সমর্থককে বলেন, বিচারক এবং কৌসুলিদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে। এই বিচারকে ঘিরে বিতর্ক স্মরণ করিয়ে দেয় দুজন হাই-প্রফাইল রাগবি খেলোয়াড়ের বিচারকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা। তাদেরকে এই বছরের শুরুর দিকে ধর্ষণের ঘটনায় নির্দোষ বলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আদালত। এই ঘটনা সীমান্তের দুইদিকেই ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। বুধবার বিভিন্ন আইরিশ শহরে বিক্ষোভ থেকে যে দাবি তোলা হয়েছে আদালতে ভূক্তভোগীকে দোষারোপের ইতি টানতে হবে। কর্ক- যেখানে এই বিতর্কিত বিচারকাজ চলেছে সেখানে আনুমানিক ২০০ মানুষ জড়ো হয়েছে কোর্ট-ভবন এর উদ্দেশ্যে পদযাত্রার জন্য এবং এ‌ যাত্রায় আন্ডারওয়্যার থাকবে। বুধবার পশ্চিমাঞ্চলীয় লিমারিক শহরে বিক্ষোভ হয় এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ওয়াটারফোর্ড শহরে বিক্ষোভ শুক্রবার।
বিচার চলাকালে আদালতে অন্তর্বাস প্রদর্শনের জেরে আয়ারল্যান্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ