instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 18
162
|
---|---|---|
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসা মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ এবং শিক্ষকদের পক্ষে একটি লিখিত বিবৃতিতে এরকম ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। লিখিত বিবৃতিটি পাঠ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক ড.নুরুল আফসার। সেখানে বলা হয়, ''দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর পর কিছু আদর্শচ্যুত ও স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতিকারী দেশের ভেতরে ও দেশের বাইরে উম্মুল মাদারেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে।'' এই বিবৃতি দেয়া হলো এমন সময়ে, যখন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সরকারের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে চরম সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল হেফাজত। এরপর সরকার সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হাটহাজারী সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনার পর গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে হেফাজত চাপে পড়েছে। কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজতে ইসলাম দলের উদ্ভব হয়েছে এই হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে। এই মাদ্রাসার পরিচালক জুনাইদ বাবুনগরী বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের আমির। তবে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার অভিযান প্রসঙ্গে হাটহাজারী এই মাদ্রাসার বিবৃতিতে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। আরও পড়ুন: সরকারের রোষানলে হেফাজত, কী কৌশল নিচ্ছে সংগঠনটি? হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতৃত্বের সাথেই কি সরকারের আসল বিবাদ? হেফাজতে ইসলাম ও সরকারের সম্পর্ক কি ভেঙ্গে গেলো? হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বর্তমানে বন্ধ থাকলেও কওমি মাদ্রাসায় দান করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। লিখিত বক্তৃতায় জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, ''অত্র অঞ্চলের ইমাম, খতিব, এবং সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার কাছে আমাদের বিশেষ আহবান থাকবে, আল্লাহ না করুন, যখনি আপনারা শুনবেন আপনাদের প্রিয় এই উম্মুল মাদারেস দুষ্কৃতিকারীদের কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, তখনি আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে উম্মুল মাদারেসের সহযোগিতায় তাৎক্ষনিকভাবে এগিয়ে আসবেন।'' ''অপরদিকে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিও আমাদের সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা,ষড়যন্ত্র, বন্ধ করুন, অন্যথায় আল্লাহর ইচ্ছায় ঘৃণিত ও লাঞ্ছিত হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।'' করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বর্তমানে বন্ধ থাকলেও কওমি মাদ্রাসায় দান করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। কিন্তু কারা ষড়যন্ত্র করছে, কিসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এই প্রসঙ্গে হাটহাজারীর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সরাসরি কিছু বলতে চাননি। মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাওলানা মোঃ ইয়াহহিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''আমাদের নির্ধারিত কোন ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে না। নির্ধারিত থাকলে তো তা বলতো। তবে মাদ্রাসা পরিচালনার মধ্যে কেউ কেউ বলতেছে ভুল ক্রুটি হইতেছে, এরকম বলতেছে।'' গত বছর হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পরদিনই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে জুনাইদ আহমেদ বাবুনগরীকে ফিরিয়ে আনা হয়। তার আগে হেফাজতের আমির আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে গত বছরের ১৭ই জুন হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের বিক্ষোভের মুখে আহমদ শফীর ছেলে আনিস মাদানীকে শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে শুরা কমিটির বৈঠকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন আহমদ শফী। আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১২ই এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। সেখানে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আগের দিনের চেয়ে মৃত্যু বেড়েছে, তবে কিছুটা কমেছে শনাক্তের সংখ্যা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ দেশের চারটিই মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভিন্ন তথ্য বাঙালির ইফতারে মুখরোচক খাবারের রীতি এলো যেভাবে | ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলছে হাটহাজারী মাদ্রাসা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘড়ছাড়া হয়েছে মস্কোতে ১০ ঘণ্টার আলোচনা শেষে স্থানীয় সময় রাত ৩ টার দিকে রুশ পররাষ্টমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান দুই দেশ এখন 'স্বতন্ত্রভাবে' আলোচনা করবে। দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা বিরোধের জের ধরে ২৭শে সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে তিনশ'র বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মরদের উদ্ধার এবং বন্দী বিনিময়ের সুবিধার জন্য স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর থেকে এই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত হলেও এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত থাকা দুই দেশ সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য একে অপরকে দায়ী করে আসছিল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই দুই দেশের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। আর্মেনিয়াতে রাশিয়ার একটি সেনা ঘাঁটি রয়েছে এবং দুই দেশই কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সদস্য। তবে আজারবাইজানের সাথেও মস্কোর সম্পর্ক ভালো। আরো পড়তে পারেন: আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: নাগোর্নো-কারাবাখে গিয়ে যা দেখেছে বিবিসি তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ নিয়ে ইরানের উদ্বেগ কেন বাড়ছে? আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাত কি বৃহত্তর যুদ্ধে রূপ নিতে পারে? আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান: কোন দেশের সামরিক শক্তি কেমন? রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় হওয়া বৈঠকে ১০ ঘণ্টা যাবত আলোচনা চলে দুই দেশের মধ্যে সবশেষ পরিস্থিতি কী? শুক্রবার আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে মস্কোতে আলোচনা চলতে থাকলেও সারাদিনই যুদ্ধ চলেছে। বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়া অভিযোগ তুলেছিল যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নাগোর্নো-কারাবাখে একটি ঐতিহাসিক গির্জায় হামলা চালিয়েছে। শুশা শহরের হোলি সেভিয়র ক্যাথেড্রালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়। একই সময়ে আজারবাইজান জানায় যে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজা ও গোরানবয় অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সৈন্যরা শেল নিক্ষেপ করেছে। ঐ ঘটনায় অন্তত একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বিবিসি'র সাথে কথা বলার সময় আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ান ঐ অঞ্চলে 'গণহত্যা' চলছে বলে সতর্ক করেন এবং দাবি করেন যে ঐ অঞ্চলটি 'আর্মেনিয়ানদের ভূমি।' কর্তৃপক্ষ বলছে সংঘাতের কারণে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ - প্রায় ৭০ হাজার - ঘড়ছাড়া হয়েছে। ঐ অঞ্চলের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টে টানা কয়েকদিন ধরে শেল হামলা চলায় সেখানকার বাসিন্দাদের অনেককেই বাড়ির বেজমেন্টে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এই নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখলকে কেন্দ্র করে যুদ্ধে জড়িয়েছিল আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, তবে শেষপর্যন্ত যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বিরোধের সমাধান হয়নি কখনও। | আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত দুই দেশের |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ফরহাদ মজহার। এদিকে উদ্ধার পাওয়ার পর মি. মজহার এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । উদ্ধারের পর ফরহাদ মজহার আদালতে একটি জবানবন্দী দিলেও এখনো এ ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি, তার পরিবারের তরফ থেকেও নতুন কিছুই বলা হচ্ছে না। কিন্তু ফরহাদ মাজহারের মতো একজন ব্যক্তিকে কারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে? পুলিশ বলছে, ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হওয়ার মামলাটি গোয়েন্দা শাখা বা ডিবিকে তদন্ত করবার জন্য গতকালই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন , আজ এ সংক্রান্ত ফাইলপত্র ঢাকার আদাবর থানা থেকে ডিবির কার্যালয়ে পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু যে প্রশ্নটি এখন সবার মনে, কে তুলে নিয়ে গেলো মি. মজহারকে? কেনইবা এত পথ পাড়ি দিয়ে তাকে খুলনা নিয়ে গেল? আর সেখানে নিয়ে তাকে ছেড়েই বা দিল কেন? এ নিয়ে মি. মজহার পুলিশ ও আদালতকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা থেকে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তিনি কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি। মি. মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বিবিসিকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেও এর বেশী কিছু জানা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় ফরহাদ মজহারের কোনো দায় এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সেই তথ্যও এরই মধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু মি. মজহারের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে কারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে এ নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা কী ভাবছেন? ফরহাদ মাজহারের অত্যন্ত ঘণিষ্ঠ একজন সহচর, লেখক, কবি ও ব্লগার মুস্তাইন জহির বলছিলেন, "অবশ্যই তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁর এমন কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা কারো সঙ্গে নেই যে এমন কাজ করবেন।আমাদের জানা নেই, পরিবারও সেটা মনে করে না। আরেকটা হচ্ছে প্রধানত রাজনৈতিক, তিনি লেখালেখি করেন, তার অবস্থান পরিস্কার। " "তিনি সোচ্চার আছেন কোন কোন বিষয়ে, জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে কোন জায়গাগুলো নিয়ে তিনি কী কথা বলেন এবং কাদের জন্য তিনি মাথাব্যথার কারণ এটা আমরা সবাই জানি, সবাই বুঝি"। এরই মধ্যে ফরহাদ মাজহারের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শোনা যাচ্ছে। বিরোধী দল বিএনপি শিবির থেকে আজও অভিযোগ হয়েছে যে সংবিধান সংশোধনীর ইস্যু থেকে মানুষের নজর ফেরাতে রাষ্ট্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আবার সরকারী দল যারা সমর্থন করেন, যারা ফরহাদ মাজহারকে সরকারবিরোধী তকমা দিতে চান, তারা বলছেন, মিস্টার মাজহার নিজেই এটা করেছেন আলোচনায় থাকার জন্য। কেউ কেউ মনে করে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব গুমের ঘটনা ঘটায়, এটা সেরকমই একটা ঘটনা। আরো একটা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে, যেটাতে বলা হচ্ছে, ফরহাদ মাজহার নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন একটি সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, যেখানে ভারতে গোরক্ষার নাম করে মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনের জের ধরে ফরহাদ মাজহার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিকে একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বলে মনে করছেন কেউ কেউ, যে তত্বের একজন সমর্থক মুস্তাইন জহির স্বয়ং। কিন্তু পুলিশ বলছে, তারা তদন্তের একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ নিয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এদিকে ফরহাদ মজহার এখনো ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানাচ্ছেন, ডাক্তার মি. মজহারকে একেবারেই কথাবার্তা বলতে বারণ করেছেন। তাই তিনি সাক্ষাৎ করতে যাওয়া ঘনিষ্ঠজনদের সাথেও তেমন কথাবার্তা বলছেন না। তাঁর আতঙ্ক এখনো কাটেনি বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন মুস্তাইন জহির। এখন মি. মজহারের সাথে আসলে কি ঘটেছিল সেটা জানার উপায় হচ্ছে সুস্থ হয়ে মি. মাজহার যদি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলে ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ প্রকাশ করেন। নয়তো এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত। আরো পড়ুন: 'মা অসুস্থ, স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ৮ বছর আগে, দেশে যেতে চাই' শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো ২৭টি গোখরা সাপ মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প বিয়ে রুখতে নিজের হাত কাটলেন নবম শ্রেণীর বিথী ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়? | ফরহাদ মজহার কাদের লক্ষ্য হতে পারেন? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তাদের রাজনীতির অন্যতম একটা ভিত্তি হিসাবে তুলে ধরে। তাঁর সেই ভূমিকা নিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন নানা প্রশ্ন সামনে আনছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তদন্তের কথাও বলছে। বিএনপি নেতাদের অনেকে স্বীকার করেছেন যে তাদের দল নতুন নতুন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বিএনপি কি সামাল দিতে পারবে- এনিয়েও দলটিতে আলোচনা রয়েছে। বিএনপি তাদের দলকে মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করার জন্য জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে তুলে ধরে থাকে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমাণ্ডার ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির সেই ভিত্তিকে বিতর্কিত করার একটা চেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে দুই দলের বিতর্ক নতুন নয়। খালেদা জিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে দলের সব পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে নতুন নতুন প্রশ্ন সামনে আনছেন, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগকেও আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলেছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, "এই ১০ বা ১২ বছর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় রয়েছে, সে কারণে বাঙালিরা বাংলাদেশ আইডেনটিটিটা খুঁজে পেয়েছে। এই আইডেনটিটি খুঁজে পেলেই মানুষের অনেক প্রশ্ন তার পরিচয় সম্পর্কে জানার। এটা একটা প্রয়োজন এবং আগ্রহ থেকে হয়। আর আজকের এই চাহিদা পূরণ হওয়ার জন্যই আমরা যা সত্য তা উদঘাটন করার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছি।" আওয়ামী লীগ নেতা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আওয়ামী লীগের অন্য একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে আইনগত দিক থেকে। তারা মনে করেন, ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল এবং এখন তা চিহ্নিত করার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। সেজন্য সরকার ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের শক্তি চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে। আর তাতে জিয়াউর রহমানের ভূমিকাও তদন্ত করা হবে-এমন ধারণা আওয়ামী লীগ নেতারা দিচ্ছেন। তারা বলেছেন, "৭৫-এ শেখ মুজিবকে হত্যার ঘটনায় বেনিফিশিয়ারি জিয়াউর রহমান, সেজন্য নেপথ্যের রাজনীতি উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।" লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে যে বিতর্ক তোলা হচ্ছে, সেটা রাজনৈতিক বক্তৃতা। তবে ৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগ বিএনপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার চেষ্টা করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। "৭১ এর ইস্যুতো বিএনপির জন্য খুব কনসার্ন না। কারণ ৭১এ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা সবাই জানেন। কনসার্নটা হচ্ছে ১৫ই অগাস্ট। এখন এটা বিএনপির জন্য অস্বস্তিকর। কারণ হচ্ছে তারা এর জুতসই জবাব দিতে পারছে না।" মি: আহমেদ আরও বলেছেন, "জিয়া যত বড়ই মুক্তিযোদ্ধা হোন না কেন এবং জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েই উনি মুক্তিযুদ্ধ করুক না কেন, ৭৫ -এর নভেম্বরের পরে যখন জিয়ার কাছে ক্ষমতা চলে আসলো,তারপর থেকে কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিরোধী কনসিকোয়েন্স উনি ডেভেলপ করেছেন তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থে।" "সেখানে অভিযোগ হলো যে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যেটা খন্দকার মোশতাক জারি করেছিলেন, সেটি পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সংবিধানের অংশ করেন। তা তিনি কেন করেছিলেন-এর কোন জুতসই জবাব কিন্তু বিএনপি দিতে পারে না।"-এই মন্তব্য করেন লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মুজিব হত্যার নেপথ্যে কারা: কমিশন করছে সরকার শেখ মুজিব হত্যার পর জেনারেল জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অবস্থান কেউ নিতে পারবে না: বিএনপি ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এবার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী পালন করছে, যখন সরকারের সিদ্ধান্তে দুর্নীতির মামলার সাজা স্থগিত করার পর দলটির শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না করার শর্তে মুক্ত রয়েছেন। তার পরিবার নতুন করে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবারও সরকারের কাছে আবেদন করেছে। আরেকজন শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নির্বাসনে বিদেশে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টাকে বিএনপি নেতাদের অনেকে তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন। দলটির একটি পেশাজীবী সংগঠনের নেতা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেছেন, "পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ বা কথা বলার চেষ্টা আমরা করবো। কিন্তু একটু টুঁ-শব্দ করলেই দেখা যায়,নানান ধরণের মামলা দেয়া হয়। সেই জায়গাটায় আমাদের আসলে সারভাইভ করাটাই কঠিন।" বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করছেন। "প্রথমদিকে তারা মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে কথা বলে। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। এখন এরা শুরু করেছে নতুন একটা অপপ্রচার।সেটা হচ্ছে ১৫ই অগাস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ইতিমধ্যে তার বিচার শেষ হয়ে গেছে। সেটাকে এখন আবার যদি ঐভাবে চেষ্টা করা হয়, সেটাও ধোপে টিকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।" একইসাথে মি: আলমগীর বলেছেন, "এটা অবশ্যই আমাদের প্রচারণা এবং বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা যতটুকু পারি খণ্ডন করছি এবং আমরা সত্য প্রতিষ্ঠিত করছি।" বিএনপি নেতারা বলেছেন, তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগুনোর চেষ্টা করছেন। | জিয়াউর রহমান: বাংলাদেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মুক্তিযুদ্ধ পরিচয় হঠাৎ লক্ষ্যবস্তু কেন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | চিৎসাঁতার দিয়ে পুলটি পাড়ি দিতে তার সময় লাগে সোয়া এক ঘণ্টারও বেশি। বিরাশি বছর বয়সে সাঁতার শুরু করেন মেইকো নাগাওকা। এই বয়সে একই দূরত্বে ৫০ মিটার পুলে সাঁতারের রেকর্ড তার আগেই ছিল। তবে এবার তিনি সাঁতার কাটলেন ২৫ মিটার পুলে। প্রতিযোগীতায় ১০০ থেকে ১০৪ বছর বয়স-সীমার বিভাগে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রতিযোগী। তার বয়সের বিভাগে এরইমধ্যে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী তিনি। ইন্টারন্যাশনাল সুইমিং ফেডারেশনের অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এই সাঁতারুর ঝুলিতে ২৪টি শিরোপা রয়েছে। হাঁটুর থেরাপি হিসেবে সাঁতার শুরু হয়েছিল যার সেই নাগাওকা পরে প্রতি সপ্তাহে প্রচুর অনুশীলন শুরু করেন। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে থাকেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও সাঁতারু বলে তিনি জানান। বেঁচে থাকলে ১০৫ বছর বয়স পর্যন্ত সাঁতার চালিয়ে যেতে চান নাগাওকা। | শতবছর বয়সী নারীর সাঁতারে অনন্য রেকর্ড |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প ব্রাসেলসে নেটোর সম্মেলন শেষে তিনদিনের এক সফরে বৃহস্পতিবার লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন। মি. ট্রাম্পের এই সফর-সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় এই প্রস্তুতি চোখে পড়ছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম ও অভিবাসনবিরোধী নীতিসহ আরো কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বর্ণবাদী আচরণেরও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার পর তাদের পরিবার থেকে শিশুদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখারও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে তৈরি বেলুন। বেলুনটি সাত মিটার লম্বা। আরো পড়তে পারেন: রাশিয়া বিশ্বকাপ: হুইলচেয়ারে ক্রোয়েশিয়া থেকে রাশিয়া পাকিস্তানে নির্বাচন: কেমন করবেন বেনজির পুত্র বিলাওয়াল থাই কিশোরদের উদ্ধারের পর কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে লন্ডনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্যে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশকে সারা দেশ থেকে পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্যে খরচ হবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার। এই বিক্ষোভের ব্যাপারে সচেতন আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও। বলেছেন, এনিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প বলেছেন, "প্রতিবাদ হবে কারণ প্রতিবাদ তো সবসময়ই হয়।" তিনি আরো বলেন, "কিন্তু আমার বিশ্বাস যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের জনগণ তাকে খুব পছন্দ করেন।" তিনি এও বলেন, " কারণ অভিবাসন বিষয়ে তারা আমার সাথে একমত পোষণ করেন।" মি. ট্রাম্প ব্রিটিশ সরকারের 'ব্রেক্সিট পরিকল্পনার' সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন যদি এধরনের চুক্তি করে তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। "আমি এটা অন্যভাবে করতাম। আমি আসলে টেরেসা মে-কে বলেছিলাম কীভাবে কি করতে হবে, কিন্তু তিনি তো আমার কথা শোনেন নি।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ডাওনিং স্ট্রিট থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে তার সম্পর্ক "খুবই জোরালো।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনের মেয়র সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে মি. খান 'জঘন্য কাজ' (টেরিবেল জব) করছেন। তিনি বলেছেন, "ভয়াবহ সবকিছু হচ্ছে। নিয়ে আসা হয়েছে অপরাধও।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে সাদিক খান বলেছেন, অপরাধের জন্যে অভিবাসীদের দায়ী করা অযৌক্তিক। সাদিক খান বলেন, "এটা খুব মজার ব্যাপার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অন্যান্য শহরের মেয়রদের সমালোচনা করেন না।" পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ শুরু থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর মি. খান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেয়র সাদিক খানকে আক্রমণ করেছিলেন। ট্রাম্পবিরোধী এই প্রতিবাদে সায় আছে সাদিক খানেরও। তবে তিনি প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে মি. ট্রাম্পের মতো দেখতে সাত মিটার লম্বা একটি বেলুন উড়ানো হয়েছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে ক্রন্দনরত শিশুর আকৃতিতে এই বেলুনটি তৈরি করা হয়েছে। মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ আগে থেকেই। এই বেলুন উড়াতে অনুমতি দেওয়ায় অনেকে সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। জবাবে মি. খান বলেছেন, সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। লন্ডনের বাইরে ডেভন, এডিনবরা, বেলফাস্ট, ম্যানচেস্টার, লিডস, বেলফাস্টসহ আরো কয়েকটি শহরেও ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনে খুব বেশি সময় কাটাবেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও রানী এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তার স্কটল্যান্ডে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করতে পারেন। | লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | গার্মেন্টস খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা বলছেন, দক্ষ জনশক্তির অভাবেই বাংলাদেশ কোটি কোটি ডলার হারাচ্ছে। বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স এসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়ী নেতা ফজলুল হক বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, গার্মেন্টস, ওষুধ কোম্পানি কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন অনেক বিদেশি নাগরিক। তিনি জানান, এসব কর্মীদের মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। এর পরে পাকিস্তান, ফিলিপিন, কোরিয়া ও চীন থেকে আসা কর্মীরা। এই তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, "দেশে মিড লেভেল ও টপ লেভেলের প্রফেশনালদের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে আসা কর্মীরা চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বিদেশ থেকে এসব কর্মী আমদানি করতে হচ্ছে।" গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি বলছে, তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ২৪ শতাংশ তৈরি পোশাক কারখানাতে বিদেশী কর্মীরা কর্মরত আছেন। দু'বছর আগে সিপিডির আরেক গবেষণার তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যে রেমিটেন্স যায় তার মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই যায় ৫০০ কোটি ডলারের মতো, জানান সিপিডির গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি জানান, দক্ষতার ঘাটতির কারণেই বিদেশি কর্মীদের হাতে চলে যাচ্ছে দেশের অর্থ। প্রতি বছর ভারতেই চলে যাচ্ছে ৫০০ কোটি ডলার - বলছে গবেষণা। কিন্তু বর্তমানে দেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। কিন্তু তারপরও কেন বাইরের দেশের কর্মীদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে? এ প্রশ্নে ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, পেশাগত দক্ষতার অভাবের পাশাপাশি ভাষা-গত দক্ষতারও অভাব রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এবং পেশাগত কৌশলের ঘাটতি রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: মালয়েশিয়ার রাজনীতি: ব্যাগ ও স্যান্ডেলের গল্প রাজপরিবারের বিয়ে: কতো খরচ হতে পারে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা হয় না কেন "কারিগরি শিক্ষার অভাবটাই প্রকট। আমাদের এখানে ইউনিভার্সিটিগুলোতে যে ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে সেগুলো বেশিরভাগই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ফোকাস করে দেয়া হচ্ছে না। তাদের ফোকাসটা অন্য জায়গায়। ফলে যেরকম গ্রাজুয়েট দরকার সেরকম আমরা পাচ্ছি না," বলেন তিনি। একদিকে দেশের ভেতরে বেকার এবং শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যেখানে প্রকট সেখানে দেশ থেকে প্রবাসী অর্থ চলে যাওয়ার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থে দেশ সচল করার কথা বলা হচ্ছে একদিকে কিন্তু অন্যদিকে বিদেশি কর্মীদের হাত দিয়ে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে বহু কোটি ডলার। তার মতে, "দেশের ভেতরে যারা গ্রাজুয়েট হচ্ছেন, তারাও উপযুক্ত মান সম্পন্ন নন। তাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, "আপনি আশ্চর্য হবেন যে, এক-তৃতীয়াংশ বেকার দেখতে পাচ্ছি যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন, অন্যদিকে দেশের ভেতরেই বিদেশিরা কাজ করছেন এবং দেশ থেকে অর্থ নিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে এমপ্লয়াররা প্রফেশনাল লোক খুঁজছেন, দেশের ভেতরে পাচ্ছে না। অন্যদিকে বিদেশি প্রফেশনালরা আমাদের এখানে কাজ করছেন, আমাদের জায়গাগুলো তাদের দিয়ে দিতে হচ্ছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।" গবেষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তৈরি পোশাকে যে উন্নতি হয়েছে তার বড় অংশই এসেছে দক্ষ শ্রমিকদের হাত ধরে। সেখানে ম্যানেজমেন্ট লেভেলে দক্ষতার ঘাটতির বিষয়টি থেকে গেছে উপেক্ষিত। | বাংলাদেশের চাকরির বাজারে বিদেশিদের দাপট? |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বহু সংখ্যক ছাত্রী যোগ দেন সোমবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, গত ১০ই এপ্রিল রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের এক অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এই ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সোমবার রাতে বিবিসি বাংলার কাছে এই বহিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১০ই এপ্রিল রাতে ওই হলে আন্দোলনে যোগ দেয়া ছাত্রীদের মারধর করার এক ঘটনার খবর বেরোয় পরদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এ ঘটনা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে ওই সংগঠন থেকে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়। তবে পরে ছাত্রলীগের এক তদন্তের পর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পদে পুনর্বহাল করা হয়। তার পরই এই ২৪ জনকে বহিষ্কারের খবর এলো। বহিষ্কৃতদের মধ্যে কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের অন্যতম সহসভাপতি মুর্শেদা খানমও রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল যে তাকে ইফফাত জাহান এশা মারধর করেছেন। বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের আরেকজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন বিবিসির কাছে এ কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, বহিষ্কারের কথা তাকে জানানো হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন : আতঙ্কে রয়েছেন কোটা আন্দোলনের চার শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ফেসবুকে গুজব রটনাকারীদের খুঁজছে পুলিশ | কবি সুফিয়া কামাল হলের ২৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | পুলিশ বলছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাথে অভিযানের সম্পর্ক নেই। বুধবার রাতে ওই এলাকায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্র বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কেন অভিযান পরিচালনা করলো? ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বুধবার রাতে যদিও বলেছেন, এটি পুলিশের চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ। কিন্তু ওই এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় যে পুলিশ কেন সেখানে অভিযান চালিয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। এগুলো হচ্ছে - নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেনডেন্টে ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছাকাছি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউআইটিএস নামে আরো দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান রয়েছে। বেসরকারি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করছেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জানালেন, সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভের সময় ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মতো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনে ছাত্রদের বড় জমায়েত হয়েছিল। এদের বেশিরভাগই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিআরটিএ চিত্র: আন্দোলনের পর বিবিসির চোখে বাংলাদেশে সড়কে শৃঙ্খলা: সমাধান সূত্র আছে যেখানে কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার রাস্তায় সাম্প্রতিক বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন দমনের জন্য সরকার যেসব কৌশল অবলম্বন করেছে, তারই অংশ হিসেবে বসুন্ধরা এলাকায় 'ব্লক রেইড' করেছে পুলিশ। যেসব বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে সেখানে কেউ 'নাশকতার' সাথে জড়িত ছিল কি-না, সেটি যাচাই করার চেষ্টা করেছে পুলিশ - এমনটাই জানালেন বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র। নাম প্রকাশ না শর্তে ওই ছাত্র বলেন, তল্লাশির সময় ছাত্রদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ দেখতে চেয়েছে পুলিশ। ওই ছাত্র আরও বলেন, ল্যাপটপ এবং মোবাইলে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সংক্রান্ত কোন ছবি, ভিডিও কিংবা অন্য কোন কিছু আছে কি-না, তা যাচাই করে দেখতে চেয়েছে পুলিশ। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীকে আন্দোলন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নও করে পুলিশ। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র মাহমুদ-উন-নবী বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করেন। তিনি বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী বসবাস করছে, সেজন্য যেকোন আন্দোলনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী জড়ো হতে পারে। সাম্প্রতিক কোটা বিরোধী আন্দোলন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ওই এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিল। তবে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে, এমন আশংকা সেখানে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের অনেকে আগে থেকেই করছিলেন। মাহমুদ-উন-নবী বলেন, "বেসরকারি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় আন্দোলনের সাথে খুব একটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উপর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের সময় অনেকে রাস্তায় নেমে আসে।" ফলে এখন অনেক আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায় বলে মনে করেন মাহমুদ-উন-নবী। আর এরই ফলে স্বাভাবিকভাবেই বসুন্ধরা আবাসিক এবং তার আশপাশের এলাকার উপর পুলিশের নজরদারিও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে সরকারও যে বেশ চিন্তায় রয়েছে, তা শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের কথায়ও ফুটে উঠেছে। বুধবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সাথে এক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বসুন্ধরা এলাকায় পুলিশের অভিযান প্রসঙ্গে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহবাজ আফ্রিদি বলেন, "আমাদের তো কিছু করার নেই ... সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে হয়রানি না হয় ... স্বাভাবিকভাবে, অনেকের মধ্যে ভয় তো আছে।" তবে পুলিশ বলছে, তাদের অভিযানের সাথে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভের কোন সম্পর্ক নেই। ডিএমপি মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এটি একটি ব্লক রেইড এবং অপরাধী ধরার জন্য এ ধরণের অভিযান তারা প্রায়ই চালিয়ে থাকেন। বসুন্ধরার অভিযানটিও অপরাধী ধরার জন্যই চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরও পড়তে পারেন: ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাপটে যাত্রীরা অসহায় | বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক: ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কেন পুলিশের বিশেষ অভিযান? |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | জল্লাদখানা বধ্যভূমি। যেটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। অথচ ১০ বছর আগে উচ্চ আদালতে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের পক্ষে রায় দেয়া হয়েছিল। এরপর কয়েক দফা বড় বড় বাজেটের প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও দৃশ্যত কোন পরিবর্তন হয়নি। শুরু থেকে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলাসহ আরও নানা অনিয়মের। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি বদ্ধভূমি ঢাকায় যে বদ্ধভূমিগুলো রয়েছে তারমধ্যে ২৩টি রয়েছে মিরপুর এলাকায়। যার মধ্যে অন্যতম মিরপুর বাঙলা কলেজের বদ্ধভূমিটি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণায় এই বদ্ধভূমির কথা বারবার উঠে এলেও কলেজের ভেতরে এ সংক্রান্ত একটি ফলক ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। মিরপুর বাঙলা কলেজের এই জলাশয়টি আসলে একটি বদ্ধভূমি। কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে কলেজের পেছনের জলাশয়টি ঘুরিয়ে দেখান, যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনারা মানুষদের হত্যা করে ফেলে রাখতো। অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারীটি এই বদ্ধভূমির চারপাশে এখন ময়লার স্তূপ, জায়গায় জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজের কর্মচারীদের থাকার ঘর এবং শৌচাগার। জলাশয়টির কিছু দূরেই রয়েছে একটি পুরানো গাছ, সেখানে মানুষদের বেঁধে পিছিয়ে শিরচ্ছেদ করা হতো বলেও জানা গেছে। কলেজটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাসুদ বলছিলেন, তারা ২০০৭ সাল থেকে এই বদ্ধভূমি সংরক্ষণের দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসলেও আজ পর্যন্ত তারা আশ্বাস ছাড়া কিছু পাননি। "আমাদের এখানে নতুন যে শিক্ষার্থীরা আসে, তারা এই বদ্ধভূমি নিয়ে কিছুই জানেনা। অথচ আমাদের বাংলা কলেজ মুক্তিযুদ্ধের নৃশংসতার সাক্ষী। আমরা বার বার বলে আসছি, কিন্তু কলেজ প্রশাসন হোক, সরকার হোক কাউকেই আমরা কাজ করতে দেখছি না।" বলেন, মি. মাসুদ। মিরপুর বাংলা কলেজের এই গাছটির সঙ্গে মানুষকে বেঁধে পিটিয়ে না হলে শিরচ্ছেদ করে মারা হতো বলে জানা গেছে। আরও পড়তে পারেন: ধর্মীয় অনুভূতিতে 'আঘাত' নিয়ে বইমেলায় সতর্কতা 'এখনও লক্ষ্য পূরণ হয়নি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: যে লেখা পাল্টে দেয় ইতিহাস কয়টি বদ্ধভূমি রয়েছে মিরপুরের কালাপানি বধ্যভূমি এলাকার চিত্রও প্রায় একই। সেখানে গড়ে উঠেছে মসজিদ এবং দোকানপাট। এছাড়া রাইনখোলা, শিরনিরটেক, সারেংবাড়িসহ অন্যান্য বদ্ধভূমিগুলো পড়ে আছে কোন স্মৃতিচিহ্ন ছাড়া অযত্ন অবহেলায়। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত দেশে মোট ২০৯টি বধ্যভূমি ও গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা বলা হলেও বেসরকারি সংস্থা ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং-এর মতে সারা দেশে পাঁচ হাজার বধ্যভূমি রয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত করা গেছে ৯৪২টি। অথচ সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ৩৫টি। বদ্ধভূমি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন? সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বধ্যভূমি সংরক্ষণের এই পরিধি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান গবেষক মুনতাসির মামুন। "মন্ত্রণালয়ে যারা থাকে, তারা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়, কিন্তু আমাদের সমস্যা হল এই প্রকল্পে যারা থাকেন তাদের প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে বিদেশ ভ্রমণ। এরপর দেশে ফিরে তারা সবকিছু ভুলে যান," তিনি বলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন তাদের এসব প্রকল্পের সাথে যুক্ত না করা এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। মি. মামুন বলেন, "এই প্রকল্প নিয়ে বর্তমানে যে কমিটি কাজ করে, তারা যদি কোন সুপারিশ দেয়, সেগুলো নিয়ে কোন কাজ হয়না। আমলারা সেগুলো ফেলে রাখেন। সব কাজ তো আমলাদের দিয়ে হবেনা। এখানে অভিজ্ঞদের যুক্ত করতে হবে, যারা এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন।" শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ- এই তিনটি মন্ত্রণালয় মিলে একটি যৌথ শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মুনতাসির মামুন। বাংলাদেশের বধ্যভূমি ও গণকবর সনাক্ত করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষক মুনতাসির মামুন। সরকার কী বলছে? ২০০৯ সালে এই বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের পক্ষে উচ্চ আদালত রায় দেয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েকদফা বাজেট বরাদ্দ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বারবার অভিযোগ উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতি, কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং ঠিকাদারদের অনিয়মের। সবশেষ গতবছর ২৭১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণে ৪৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। এরপরও বদ্ধভূমি সংরক্ষণ যে অবহেলিত থেকে গেছে তা স্বীকার করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফুর রহমান। তবে এই কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বদ্ধভূমির জমিগুলো অধিগ্রহণ করা। কেননা বেশিরভাগ জমিই ব্যক্তি মালিকানাধীন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বদ্ধভূমিগুলো সংরক্ষণে এবং সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতু এটি একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান আছে তাই এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।" মিরপুরের জল্লাদখানা বদ্ধভূমিটির খননকাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। এখান থেকে ৭০টি মাথার খুলি পাওয়া যায়। "তবে স্মৃতিস্তম্ভ বানাতে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন আবার সেই জায়গাগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন। জমি পাওয়াটাই এখন অনেক বড় কাজ। সেটা পেলেই বাকি কাজ আপনা আপনি এগিয়ে যাবে," বলেন মি. রহমান। বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বদ্ধভূমিগুলো রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে দ্রুত দখলমুক্ত করা না গেলে নতুন প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: সংগ্রাম সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা নাগরিকত্ব আইন: মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভ, রেল স্টেশন ভাঙচুর | মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ভারতে সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ তাজমহলে দর্শনার্থীদের ঢল ভারতের পর্যটনমন্ত্রীর মতে, পশ্চিমা পর্যটকদের চেয়ে বাংলাদেশীদের খরচ করার পরিমাণ কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, পাঁচতারা হোটেল বা বিমানের বিজনেস ক্লাসে অত না-করলেও বাংলাদেশীরা কেনাকাটায় আর মেডিক্যাল বিলে ভারতে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেন - আর সে কারণেই ভারত চাইছে সে দেশ থেকে আরও বেশি পর্যটক আসুন। ভারতে আসা বাংলাদেশী নাগরিকদের খরচের ধরনটা কী রকম এবং ভারতের পর্যটন শিল্পই বা তাদের কী চোখে দেখছে? দিল্লিতে তারই সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়েছিলাম। যে দেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন, আমেরিকাকে টপকে প্রায় বছরতিনেক হল সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ । ভারতের পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফানসো ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকেই এখন বিশ্বের যে কোনও ভারতীয় মিশনের চেয়ে বেশি ভিসা মঞ্জুর হয় - আর প্রতি বছরই অন্তত ১৬ থেকে ১৭ লক্ষ বাংলাদেশী এখন ভারতে আসছেন। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর শ্বেতাঙ্গ পর্যটকদের মতো বেড়াতে এসে তারা অতটা খরচ করেন না বলে যে ধারণা আছে - ভারতের পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফানসোর মতে সেটা সম্পূর্ণ ভুল। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, "বাংলাদেশী ট্যুরিস্টরা কিন্তু এখানে এসে প্রচুর টাকা খরচ করেন। তাদের খরচের জায়গা মূলত দুটো - বিয়ের জন্য কেনাকাটা, আর মেডিকেল ট্যুরিজম।" "এই দুটো খাতেই তারা বিপুল খরচ করেন - কোনও কার্পণ্য না-করে দুহাতে টাকা খরচ করেন। কাজেই আমি তো খুব খুশি, বাংলাদেশীদের বলব আপনারা আরও বেশি করে আসুন!" ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকা থেকে যে পর্যটকরা ভারতে আসেন, তারা তাদের বাজেটের একটা বড় অংশ খরচ করেন পাঁচতারা হোটেলে কিংবা প্যালেস অন হুইলসের মতো বিলাসবহুল ট্রেনে বা পরিবহনে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরস-এর প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার আমাদের পেজে আরও পড়ুন: তিন তালাক ফতোয়া: শ্বশুরের সাথে রাত কাটাতে বাধ্য হয় শাহবিনা বাংলাদেশে সরকারি চাকুরিতে কোটা কি রাখতেই হবে? ফেসবুক লাইভে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি গ্রেপ্তার দিল্লিতে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরস বা আইএটো-র প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার বলছিলেন, বাংলাদেশী পর্যটকদের যে খরচের প্যাটার্ন তাতে এ দেশের পর্যটন খাত হয়তো সরাসরি ততটা লাভবান হচ্ছে না - কিন্তু দেশের অর্থনীতির জন্য তা অন্যভাবে সুফল বয়ে আনছে। মি সরকার বিবিসিকে বলছিলেন, "বাংলাদেশীদের জন্য হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির হয়তো তেমন লাভ নেই - কারণ অনেক সময়ই তারা হয়তো চেনাশুনো বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেই থাকছেন, এবং লো বাজেটেই তাদের চলে যাচ্ছে।" "একজন ইউরোপিয়ান ট্যুরিস্ট যদি গড়ে দৈনিক একশো ডলার খরচ করেন, বাংলাদেশীরা কিন্তু কুড়ি থেকে পঁচিশ ডলারের মধ্যেই খরচটা সীমিত রাখছেন। মানে ইউরোপীয়দের তুলনায় গড়ে একজন বাংলাদেশী আমাদের পর্যটন খাতে মাত্র পঁচিশ শতাংশ খরচ করছেন।" "কিন্তু তারা সেটা পুষিয়ে দিচ্ছেন অন্য জায়গায়। বিয়ের কেনাকাটার নানা জিনিসপত্র বিপুল পরিমাণে কিনে আর মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য যারা আসছেন, তারা হাসপাতালের বিল মিটিয়ে মোট খরচের অঙ্কটা হরেদরে পশ্চিমাদের মতো সেই একই দাঁড়াচ্ছে", বলছিলেন প্রণব সরকার। এছাড়া আজমির শরিফের মতো তীর্থস্থানে গিয়েও অনেক অর্থ খরচ করেন একদল বাংলাদেশী। কলকাতার নিউ মার্কেট কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশীদের খুব প্রিয় ওদিকে পশ্চিমা পর্যটকদের মধ্যে একটা বড় অংশ থাকে ব্যাকপ্যাকার বা খুব কম বাজেটের পর্যটক - তাদের স্যুভেনির কেনার প্রায় কোনও বালাই-ই নেই। অন্য শ্বেতাঙ্গ পর্যটকদের মধ্যেও কেনাকাটার বাতিক অতটা থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশীরা এখানে বিরাট ব্যতিক্রম, বলছিলেন কলকাতার হিন্দুস্তান ট্র্যাভেলসের শিবানী ভট্টাচার্য। তার কথায়, "কলকাতায় আসা বাংলাদেশীদের প্রধান টার্গেটই থাকে শপিং। তাদের জন্য ট্র্যাভেল প্ল্যান করার সময় আমাদের সব সময় বলা হয়, অন্তত একটা পুরো দিন যেন কেনাকাটার জন্য বরাদ্দ থাকে! আসলে কলকাতায় আধুনিক ফ্যাশনেবল জামাকাপড় ও অন্যান্য আরও নানা জিনিস তুলনায় শস্তায় পাওয়া যায়, এই ধারণা থেকেই বোধহয় সেটা করা হয়!" "পশ্চিমা দেশের পর্যটকরা যে একেবারে কেনাকাটা করেন না, তা নয়। তারা যত বেশি সম্ভব ঘুরতে চান। কিন্তু তারাও জিনিসপত্র কেনেন, তবে বড়জোর দু-একটা। কিন্তু বাংলাদেশীরা ব্যাগ ব্যাগ বোঝাই করে কিনে নিয়ে যান", বলছিলেন তিনি। ভারতের আজমির শরিফ দরগাতেও যান বহু বাংলাদেশী ভারতের পর্যটন বিভাগ বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেন, প্রোমো বা রোড শো-র মাধ্যমে চিরকাল পশ্চিমা দেশের পর্যটকদেরই টানার চেষ্টা করে এসেছে, কিন্তু পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফানসো বিবিসিকে বলছিলেন সেই দৃষ্টিভঙ্গী এখন পাল্টানো হচ্ছে। তিনি জানাচ্ছেন, "আমার দেশে সাদা, কালো না বাদামি চামড়ার পর্যটক আসলো তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। যতক্ষণ তারা এদেশে কর্মসংস্থান তৈরি করছেন, আমার পকেটে টাকা আসছে আর ভারতকে দেখে তারা বলছেন 'বাহ্, কি সুন্দর দেশ' তাতেই আমরা খুশি।" "আর বাংলাদেশীরা কেনই বা ভারতে আসবেন না - এত কম খরচে এত ভাল ডাক্তার আর চিকিৎসা পরিষেবাই বা তারা কোথায় পাবেন? আমেরিকা-বিলেতের চেয়ে খরচের ভগ্নাংশেই তারা এখানে দারুণ চিকিৎসা পাবেন", জানাচ্ছেন তিনি। মাত্র দিনকয়েক আগেই ঢাকায় উদ্বোধন হয়েছে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতের বৃহত্তম ভিসা সেন্টার, বাংলাদেশীদের জন্য অনেক শিথিলও করা হয়েছে ভারতীয় ভিসার কড়াকড়ি। আর পর্যটনমন্ত্রীর কথা থেকেই স্পষ্ট, কেন বাংলাদেশী পর্যটক টানতে আরও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত! | ভারতে বেড়াতে এসে কীরকম খরচাপাতি করেন বাংলাদেশী পর্যটকরা? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্ররা (ফাইল ছবি) হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আহমদ শফীর বিরুদ্ধে জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে বুধবার মাদ্রাসাটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ থেকে মাদ্রাসায় আহমদ শফীর সমর্থক শিক্ষকদের দু'জনের ওপর হামলা এবং অফিস কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আহমদ শফী এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে সরে যাওয়ার দাবি তুলেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক ছাত্ররা বুধবার দুপুরের পর মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা মাদ্রাসাটির প্রধান বা পরিচালক আহমদ শফির বিরুদ্ধে নানা রকম শ্লোগান দেয়। মি: শফির ছেলে আনাস মাদানীও এই মাদ্রাসার শিক্ষক। বিক্ষোভকারীরা মি: মাদানী সহ আহমদ শফির সমর্থক কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুর করে। মি: শফীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মাদ্রাসারটি শিক্ষক মঈনউদ্দিন রুহীর ওপর হামলাও করেছে বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের মধ্যে আহমদ শফী মাদ্রাসায় তার অফিসে ছিলেন বলে জানা গেছে। হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাকসুদ আলম বিবিসিকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষে দ্বন্দ্বের জেরে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আবাসিক এই মাদ্রাসায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। আহমদ শফী (ছবিতে) এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। মি: আলম আরও জানিয়েছেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক বিক্ষোভকারী ছাত্ররা মাদ্রাসায় রাত ১১টা পর্যন্ত অবস্থান করে। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হাসান বলেছেন, তার নেতৃত্বে পুলিশ মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিল। রাত ১১টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে এই বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক শিক্ষকরাই মূলত উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক থেকে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং তা সেখানে ঘোষণা করা হলে রাত ১১টার পর বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি শেষ করেন। এই কমিটি আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর আবার বৈঠকে বসবে বলে জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ছয় দফা দাবি সম্বলিত একটি লিফলেটও সেখানে বিলি করেছিল। সেই লিফলেটে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারের দাবি করা হয়। এটিই তাদের এক নম্বর দাবি ছিল। এছাড়াও আহমদ শফীকে মাদ্রাসার প্রধান বা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিও করা হয়। আহমদ শফীর সমর্থক একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক শিক্ষকরা বহিরাগত কিছু লোক মাদ্রাসায় এনে একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে মাদ্রাসার দখল নিয়েছিল। এই উত্তেজনা সৃষ্টিকারীরাই নিজেরা বৈঠক করে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা সহ নানা রকম সিদ্ধান্তের কথা বলেছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থক একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মাদ্রাসায় নানা অনিয়মের কারণে চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে মাদ্রাসার ছাত্ররাই বিক্ষোভ করেছে। সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর এই মাদ্রাসা কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ হেফাজতে ইসলামে আমীর আহমদ শফী এবং মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। কিন্তু আহমদ শফী এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। মি: শফীর বয়স একশ বছরের বেশি হয়েছে। মাদ্রাসাটিতে তার পরেই জুনায়েদ বাবুনগরীর অবস্থান ছিল। কিন্তু কয়েকমাস আগে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে মি: বাবুনগরীকে মাদ্রাসার সহকারি পরিচালকের পদ সরিয়ে দেয়। তখন দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। | হাটহাজারী মাদ্রাসা: চট্টগ্রামের মাদ্রাসাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আহমদ শফী এবং বাবুনগরীর দ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দেশটিতে ৩৭ জন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দেহ ক্রুশবিদ্ধ করে রাখার প্রচলনও রয়েছে। আরো পড়ুন: খুনের দায়ে সৌদি রাজপুত্রের মৃত্যুদন্ড কার্যকর যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী খাসোগজি হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরব তবে তা কম শোনা যায়। ২০১৮ সালে এক নারীকে ছুরি মেরে হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা ও আরও এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টার দায়ে একইভাবে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। ৩৭ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যার বয়স গ্রেফতারের সময় ১৭ বছর ছিল বলে জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তিরা "উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করতো এবং তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করেছিলো।" শুধু এ বছরই দেশটি ১০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল এবং বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলো বলে সরকারের দিক থেকে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও মক্কা ও মদিনাতেও এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলো। সৌদি সরকার সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। তবে সেখানে এর সংখ্যা অনেক। অ্যামনেস্টির হিসেবে, শুধু এ বছরই দেশটি ১০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। সম্প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে গৃহকর্তাকে হত্যার দায়ে ফিলিপাইনের একজন নারী শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। দেশটিতে খুনের দায়ে এমনকি এক রাজপুত্রেরও মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। অন্যান্য খবর: বারাক ওবামাকে হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল যারা রপ্তানি বাড়ছে কিন্তু দাম বাড়ায়নি বিদেশী ক্রেতারা শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম কেন বন্ধ করা হলো? | সৌদি আরবে একদিনে ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, একজনকে 'ক্রুশবিদ্ধ' |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে কীভাবে বাঁচা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিশ্বের সব দেশই। অতীতে বড়ধরনের মহামারি আবার ফিরে আসার ইতিহাস রয়েছে। এই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কি আসতে পারে? বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস চিকিৎসার ওষুধ আমরা কবে পাবো? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে | করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় একটা ঢেউ কি আসবে? |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ইসরায়েলে ষাটোর্ধ এক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১.৫৫ জনকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। তার পরেই রয়েছে বাহরাইন। সেদেশে এই হার ৩.৪৯। তৃতীয় স্থানে ব্রিটেন, হার ১.৪৭। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ওয়েবসাইট, যারা বিশ্বব্যাপী এর ওপর নজর রাখছে তারা এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। যাদেরকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে এই হিসেবে ধরা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যেসব টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে সেগুলোর দুটো ডোজ দিতে হবে। তারা বলছে, ফ্রান্সে ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৩৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে ১৮ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট ছিল ২০২০ সালের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া কিন্তু ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা প্রায় ২৮ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। ইসরায়েল কেন এগিয়ে ইসরায়েলে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ১৯শে ডিসেম্বর। সেদেশে প্রতিদিন দেড় লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ষাটোর্ধ ব্যক্তি ছাড়াও স্বাস্থ্য-কর্মী এবং যারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর পরই ইসরায়েল টিকা পাওয়া জন্য ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের সঙ্গে সমঝোতা সেরে ফেলে। এর পর দেশটি ধাপে ধাপে ফাইজারের টিকার চালান নিশ্চিত করে। এই টিকাটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। অক্সফোর্ডের টিকাটি সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে কি এখনই অক্সফোর্ডের টিকা দেওয়া সম্ভব? ভারত থেকে ভ্যাকসিন কিনতে রবিবার অর্থছাড় করবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শুরু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যিনি আবারও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, তিনি আশা করেছিলেন তার দেশ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই মহামারি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। বর্তমানে দেশটিতে তৃতীয়বারের মতো লক-ডাউন জারি রয়েছে। ফ্রান্স কেন পিছিয়ে ফ্রান্সে টিকা দেওয়া শুরু হয় ২৭শে ডিসেম্বর। বছরের শেষ নাগাদ তারা ১৩৮ জনকে টিকা দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ জার্মানিতে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মানুষকে টিকা দেওয়ার পেছনে একটি বড় সমস্যা হিসেবে কাজ করেছে এর কার্যকারিতার বিষয়ে মানুষের নিরাশা। এবিষয়ে ১৫টি দেশে একটি জরিপ চালানো হয়। দেখা গেছে ফ্রান্সে মাত্র ৪০% মানুষ জানিয়েছে যে তারা টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু চীনে এই হার ৮০%, ব্রিটেনে ৭৭% এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯%। কী করছে ভারত? ভারতে করোনাভাইরাসের টিকা দেবার কর্মসূচির এক দেশব্যাপী মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত সরকারের একটি প্যানেল এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকাটি অনুমোদন করেছে এবং দেশটি এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ৩০ কোটি মানুষকে এই টিকা দিতে চাইছে। অক্সফোর্ডের টিকাটি সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যায়। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলছেন, টিকা দেবার মহড়ায় হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীকে জড়িত করা হচ্ছে - যার লক্ষ্য হলো দক্ষতা তৈরি করা এবং টিকাদানের সময় যেন কোন সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা। ভারতে করোনাভাইরাসে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটিরও বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। | করোনা ভাইরাস: কোন দেশে কতো মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | অভিজ্ঞ ডুবুরিরা আগে পিছে থেকে উদ্ধার করে আনছেন আটকে পড়া ছেলেদের ভারী বৃষ্টির পর গুহার ভেতর পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশংকায় রোববারই এই উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দক্ষ ডুবুরিরা আটকে পড়া কিশোরদের ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের পানির ভেতর দিয়ে পথ দেখিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে নিয়ে আসেন। তাদেরকে গ্রুপে গ্রুপে উদ্ধার করা হচ্ছে। এই উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা পরিস্কার নয়। উদ্ধার করা ছেলেদের সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে তবে কর্মকর্তারা আগে যা ধারণা করেছিলেন তার চেয়ে অনেক দ্রুত আগাচ্ছে উদ্ধার অভিযান। চার জন কিশোরকে এ পর্যন্ত বাইরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বিবিসির ড্যান জনসন থাইল্যান্ডের ঘটনাস্থল থেকে জানাচ্ছেন, ডাক্তার পাঠিয়ে আটকে পড়া কিশোরদের অবস্থা উদ্ধার অভিযান শুরুর আগে পরীক্ষা করে দেখা হয়। সবচেয়ে দুর্বল শারীরিক অবস্থা যাদের, তাদের আগে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়। গুহার ভেতর যা ঘটছে যে গুহার ভেতর এই অভিযান চলছে, সেই গুহামুখ ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যম এবং উদ্ধার কর্মীদের বিরাট জটলা তৈরি হয়েছে। রোববার সকালে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। তখনই জল্পনা শুরু হয় যে হয়তো শীঘ্রই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। এরপর উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান নারোংসাক ওসেতানাকর্ন ঘোষণা করেন যে কিশোরদের উদ্ধারের জন্য ১৮ জন ডুবুরিকে ভেতরে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ডাক্তাররা পরীক্ষা করে সব ছেলেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে এই অভিযানের জন্য প্রস্তুত বলে মত দিয়েছেন। আটকে পড়া ছেলেদের পরিবারের তরফ থেকেও সম্মতি পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযানের আগে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ যেভাবে এদের বাইরে আনা হচ্ছে গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘন্টা সময় লাগছে। এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। আর অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে। প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে। সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে। এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। | থাইল্যান্ডের গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রয়েছেন। এতদিন এসব মামলার বিচার কার্যক্রম পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে চলছিল। তবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই আদালত কেরানিগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরিত হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ''বিশেষ আদালত কেরানিগঞ্জে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম সেখানেই হবে।'' তিনি জানান, পরবর্তী শুনানি কার্যক্রম কেরানিগঞ্জে স্থাপিত এজলাসেই হবে। আরো পড়ুন: খালেদা জিয়ার মাথায় আরো যেসব মামলা ঝুলছে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন না: বিএনপি দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে এই আদালতে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে হাইকোর্ট দণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করে। অপরদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার ৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে তিনটি খাতে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েছে বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা? সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে স্নায়ুবিজ্ঞানীদের টিপস | কেরানিগঞ্জের কারাগারে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার মামলা |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়: উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত ব্রিটিশ শাসকশ্রেণীর প্রথম পছন্দ ব্রিটেনের অভিজাত শাসক গোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এটি কোন কাকতালীয় ঘটনা নয়। সব হিসেব ঠিক থাকলে বরিস জনসনেরই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তিনি পড়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখনো যিনি টিকে আছেন, সেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টও অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েট। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কনজারভেটিভ পার্টিতে শেষ যে চারজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছিল, তাদের তিনজনও ছিলেন অক্সফোর্ডের ছাত্র। শুরুতে যে ১১ জন প্রার্থী হয়েছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার জন্য, তাদের মধ্যেও ৮ জন অক্সফোর্ডে পড়েছেন। পাঁচ জন তো ছিলেন একই বিষয়ের ছাত্র। ব্রিটেনে স্যার উইনস্টন চার্চিলের সময় থেকে এ পর্যন্ত যে ১২ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে নয়জনই অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েট। এদের সবাই পড়েছেন অক্সফোর্ডে। সেকারণেই কি ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন? ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে অক্সফোর্ডে পড়েছেন। তার স্বামীও সেখানকার ছাত্র। আর তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অক্সফোর্ডেরই আরেক ছাত্রী বেনজির ভুট্টো। যিনি পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবের্টিং সোসাইটি সত্তরের দশকে বেনজির ভুট্টো ছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান। এটি ব্রিটেনের সবচেয়ে বিখ্যাত ডিবেটিং সোসাইটিগুলোর একটি। ব্রিটিশ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিখ্যাত লোকজনের পদচারণা এই ক্লাবে। যারা রাজনীতিতে বড় কিছু হওয়ার উচ্চাভিলাষ রাখেন, এই ক্লাবে যোগ দেয়া তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য বলে বিবেচনা করা হয়। টেরিজা মে-ও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন না। তার জায়গায় এখন যারা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়ছেন, তাদের ক্ষেত্রেও তাই। ব্রিটিশ রাজনীতিতে শ্রেণী, বৈষম্য এবং রাজনীতি বিষয়ে গবেষণা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিওফ্রে ইভান্স। তার মতে অক্সফোর্ডের এত গুরুত্ব আসলে একটি কারণে, এটি আসলে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক তৈরির এক খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অক্সফোর্ড ডিবেটিং ক্লাবের যাত্রা শুরু ১৮২৩ সালে। বহু বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক এই ক্লাবের সদস্য ছিলেন। "যদি আপনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনার সুযোগ পান এবং ডিবেটিং ক্লাবে নিজের সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনি এমন সব মানুষের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, যা আপনাকে রাজনীতিতে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ করে দেবে।" দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি ১৯২০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ফিলজফি, পলিটিক্স এন্ড ইকনোমিক্স (পিপিই) নামে একটি কোর্স চালু করে। এই কোর্সটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়কদের কাছে। গত একশ বছরে অক্সফোর্ডের এই পিপিই কোর্স যারা করেছেন তাদের মধ্যে আছেন: অক্সফোর্ড ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রাচীন এবং অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি তবে এরা হচ্ছেন অক্সফোর্ডের বিখ্যাত গ্রাজুয়েটদের গুটিকয় মাত্র, যারা একেবারে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজাই এখন অক্সফোর্ডে এই একই বিষয়েই পড়াশোনা করছেন। সুবিধাভোগী অভিজাত শ্রেণী ব্রিটেনে এবং অন্যান্য দেশে অভিজাত শাসকশ্রেণীর মধ্যে অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েটদের এই যে প্রাধান্য, এর শুরু কিন্তু অনেক আগে। "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার শীর্ষে, যেখানে আপনাকে ঢুকতেই দেয়া হবে না - যদি আপনি সঠিক পটভূমি থেকে না আসেন বা আপনার যদি ভালো যোগাযোগ না থাকে", বলছেন অধ্যাপক ইভান্স। আরও পড়ুন: সেরা বিশ্ববিদ্যালয়: অক্সফোর্ড হারলো ক্যামব্রিজের কাছে অক্সফোর্ড থেকে সরানো হলো অং সান সু চির ছবি তার মতে, অক্সফোর্ডে কারা যেতে পারবেন আর কারা পারবেন না, সেই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় অনেক আগে, একেবারে অল্প বয়স থেকেই। শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন ধাপে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্রিটেনে আবার এটাও সত্য, এখানে যে নামী-দামী প্রাইভেট স্কুলগুলো আছে, সেখান থেকে প্রচুর ভালো রেজাল্ট করা ছেলে-মেয়ে বের হয়। এই স্কুলগুলোতে পড়ার খরচ খুবই বেশি। ব্রিটেনের অভিজাত এবং দামী স্কুল হ্যারোর কয়েকজন ছাত্র। ১৯৩৭ সালে হ্যারো বনাম ইটনের ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট মাঠে এসেছে তারা। পাশে দাঁড়িয়ে কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাদের দেখছে সাধারণ পরিবার তেকে আসা কয়েকজন ছেলে। এই বৈষম্য বা অসাম্য ঠিক করার জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যাতে করে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা অত ভালো রেজাল্ট না করেও যেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। এর ফলে যেটা হচ্ছে, যারা অভিজাত পরিবার থেকে আসে না, যাদের সঠিক যোগাযোগ নেই বা আর্থিক সঙ্গতি নেই, তাদের জন্য রাজনীতিতে সফল হওয়া খুব কঠিন। ব্রিটেনে যে ধরণের নির্বাচনী ব্যবস্থা, সেখানে বিদ্যমান কাঠামোর বাইরে থেকে এসে কারও পক্ষে নতুন একটি দল তৈরি করা এবং পার্লামেন্টে যথেষ্ট আসন জেতা কঠিন। এর মানে হচ্ছে, রাজনৈতিক আকাঙ্খা আছে এমন যে কাউকে প্রতিষ্ঠিত দুটি দলের একটিতে যোগ দিয়ে সুবিধাভোগী অভিজাতদের বিরুদ্ধেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এভাবে সফল হওয়া একেবারে যে অসম্ভব তা নয়। যেমন ধরা যাক মার্গারেট থ্যাচার বা টেরিজা মে'র কথা। তারা দুজনই সাধারণ পরিবার থেকে এসেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার শীর্ষে যেতে সক্ষম হয়েছেন। দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রীট। ব্রিটেনে যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের অনেকেই ছিলেন অক্সফোর্ডের পিপিই কোর্সের (পলিটিক্স, ফিলজফি এন্ড ইকনোমিক্স) ছাত্র। ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াইয়ে অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেননি এমন গুটিকয় প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন ছিলেন সাজিদ জাভিদ। তিনি একজন অভিবাসী বাস ড্রাইভারের ছেলে। তবে কনজারভেটিভ পার্টিতে তার উত্থানও সহজ ছিল না। আগে তাকে ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে সফল হয়ে অভিজাত শ্রেণীর কাতারে উঠে আসতে হয়েছে। তারপরই তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সামনের কাতারে জায়গা পেয়েছেন। এটা বাস্তব যে ব্রিটেনের অভিজাত শাসক শ্রেণীর মধ্যে আসলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর অবস্থার প্রতিফলন নেই। তবে এটাও সত্য, যারা শেষ পর্যন্ত শীর্ষ সারিতে পৌঁছাতে পেরেছেন তারা সবাই শিক্ষায়-দীক্ষায় এগিয়ে। এই যে শাসক শ্রেণীর মধ্যে একই ধরণের পটভূমি থেকে আসা লোকজনের এত প্রাধান্য, সেটা সমাজের জন্য ভালো না খারাপ - তা বিচার করার কোন সুনির্দিষ্ট উপায় নেই। তবে যেটা প্রায় নিশ্চিত, তা হলো একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েটই হয়তো ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। | ব্রিটেনের বেশিরভাগ প্রধানমন্ত্রীই কেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | প্ল্যাকার্ডটি সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। নারী দিবসের একদিন আগে করাচীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ বছর বয়সী এই দু'জন শিক্ষার্থী পোস্টার তৈরির একটি সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। তারা এমন একটি পোস্টার বানাতে চেয়েছিলেন যাতে সবার দৃষ্টি পড়ে। এজন্যে নানা আইডিয়া নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেন। সেসময় তাদের পাশের একজন বান্ধবী দুটো পা দু'পাশে ছড়িয়ে বসেছিল। এটা দেখেই তারা একটি পোস্টার বানানোর আইডিয়া পেয়ে যান। রুমিসা মনে করেন, নারীরা কীভাবে বসবে তা নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়। "আমাদেরকে খুব মার্জিত হতে হবে। আমাদের শরীরের আকার আকৃতি যাতে দেখা না যায় সেজন্যে সচেতন থাকতে হবে। পুরুষরা যখন পা ছড়িয়ে বসে তখন সেদিকে কেউ তাকিয়েও দেখে না।" কিন্তু রুমিসা যে প্ল্যাকার্ডটি তৈরি করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে সানগ্লাস চোখে দেওয়া এক নারী নিঃসঙ্কোচে পা ছড়িয়ে বসে আছেন। তার বান্ধবী রাশিদা তখন একটি শ্লোগান লিখে দিয়েছেন। মেয়েদেরকে যে "কীভাবে বসতে হবে, হাঁটতে হবে, কথা বলতে হবে" এসব নিয়ে উপদেশ দেওয়া হয় সেবিষয়েই তিনি লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। তারা তখন একটি শ্লোগানের ব্যাপারে একমত হয়ে লিখেন: "এই আমি ঠিকমতো বসেছি।" হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল। তারপর একসময় তারা ভাল বন্ধু হয়ে যান। নিজেদের জীবনের সব অভিজ্ঞতা থেকে নারী অধিকারের ব্যাপারে তাদের মধ্যে একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছিল। রুমিসা বলেন, তাকে প্রতিদিনই বিয়ে করার কথা শুনতে হয়। এজন্যে তাকে পরিবার থেকে চাপও দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে তিনি অবিবাহিত থাকতে পেরেছেন, সেটা তার কাছে "একটা ব্যক্তিগত বিজয়ের" মতো মনে হয়। রাশিদা বলেছেন, রাস্তায় তাকে প্রতিদিনই নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয়। এজন্যে তারা দুজনেই 'আওরাত' বা নারী সমাবেশে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রুমিসা ও রাশিদা নারী অধিকারের ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। আরো পড়তে পারেন: নারী অধিকার কর্মীরাও কি 'মি-টু' এড়িয়ে যাচ্ছেন? স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা 'মি টু' ক্যাম্পেনারদের নিজের বাবারাই যখন কাঠগড়ায় "চারদিকে এতো নারী তাদের অধিকারের জন্যে চিৎকার করছেন- এটা ছিল একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমার ধারণা যারাই সেখানে অংশ নিয়েছিলেন তারা তখন নারীর শক্তি সম্পর্কে কিছুটা হলেও অনুভব করতে পেরেছিলেন," বলেন রুমিসা। পাকিস্তানে এর আগেও নারীরা এরকম বড় বড় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে নারী ও পুরুষের সমতা কতোখানি এবিষয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ১৪৯টি দেশের যে তালিকা তৈরি করেছিল তাতে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল একেবারে নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইয়েমেনে। পাকিস্তানে নারীদের পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়া, জোরপূর্বক বিবাহ, যৌন নির্যাতন এসব খুব সাধারণ ঘটনা। এমনকি পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে নারীদেরকে হত্যা করার খবরও মাঝে মাঝেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নারীদের ওই সমাবেশে আরো অনেকেই নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু রক্ষণশীল এই দেশটিতে রুমিসা ও রাশিদার তৈরি পোস্টারটি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমাবেশ আয়োজনকারীদের একজন মনিজা বলছেন, "নারীদের শরীরকে যৌনতা হিসেবে দেখা হয়। বলা হয় যে নারীদেরকে শরীর ঢেকে রাখতে হবে এবং তারা ঘরের বাইরে যাবে না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।" রুমিসা মনে করেন সেদিন যে সাড়ে সাত হাজার নারী জড়ো হয়েছিল সেটা রক্ষণশীল পুরুষদের ভাবিয়েছে। অনেকেই হয়তো ব্যাপারটা ঠিকমতো নেয়নি যে নারীরা এভাবে চিৎকার করছে। "অনেকে মনে করে এটা ইসলামের বিরোধী। কিন্তু আমরা সেটাকে এভাবে দেখি না। আমার ধারণা ইসলামে নারীকে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।" ওদের তৈরি প্ল্যাকার্ডের ছবিটি ইন্টারনেটে পোস্ট করা হলে সোশাল মিডিয়াতে সেটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এনিয়ে তখন প্রচুর আলোচনা শুরু হয়ে যায়। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "আমি আমার মেয়ের জন্যে এধরনের সমাজ চাই না।" আরেকজন লিখেছেন, "আমিও একজন নারী। কিন্তু এই ছবিটার ব্যাপারে খুব একটা স্বস্তি বোধ করছি না।" আরেকজন লিখেছেন, "এটা নারী দিবস, দুশ্চরিত্রাদের দিবস নয়।" রুমিসার পরিচিত অনেকে ব্যক্তিগতভাবে তাকে বার্তাও পাঠিয়েছেন। তারা বলেছেন, "আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না তোমার মতো কেউ একজন এটা করেছে। তুমি এমন একটি ভদ্র পরিবারের মেয়ে।" তার পরিবারের কোন কোন সদস্য তার বাবা মাকেও বলেছেন, তাকে যেন আর এধরনের সমাবেশে যেতে দেওয়া না হয়। কিন্তু সামাজিক এই চাপের পরেও রুমিসার পিতামাতা তাদের মেয়ের সিদ্ধান্তের সাথে একমত। ওই সমাবেশে আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- "আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত।" নারী পুরুষ উভয়েই এই পোস্টারের সমালোচনা করছে। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের খবর অনুসারে, করাচীর একজন ধর্মীয় নেতা এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, "আমার শরীর আমার সিদ্ধান্ত.. তাহলে পুরুষের শরীর পুরুষের সিদ্ধান্ত....তারা যার উপরেই চায় তার উপরেই উঠে যেতে পারে।" পরে অনেকে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নারীদের এই সমাবেশে পাকিস্তানে নারীবাদী আন্দোলনের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি করেছে। রুমিসা বলেন, "অনেকে বলছেন এসব কোন বিষয় না। নারীদের এরকম আচরণ করা উচিত নয়। আমার অনেক নারীবাদী বান্ধবীও মনে করে যে এই পোস্টারটা অপ্রয়োজনীয়।" তারা মনে করেন যে এই পোস্টারের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে। একজন বলেছেন, "যারা মনে করে এরকম পোস্টারের মাধ্যমে নারীর অধিকার আদায় করা যাবে তারা বিভ্রান্ত জিহাদিদের মতো, যারা মনে করে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যায়।" এই বিতর্কের পরেও রুমিসা মনে করেন তিনি ঠিক পোস্টারটিই বানিয়েছেন। এটা নিয়ে তার কোন দুঃখ নেই। আমি খুশি যে এটা এতো মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে।" 'চিনির কোমল পানীয় ডেকে আনতে পারে আগাম মৃত্যু' ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট | নারীর পা ছড়িয়ে বসার যে পোস্টারটি পাকিস্তানে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | জেফ বেজোস বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শিগগীরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি - অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লক্ষ কোটি ডলার। অ্যামাজনে কেনা যায় না - বোধ হয় সারা দুনিয়ায় এমন কিছুই এখন নেই। আপনার পোষা বেড়ালের খাবার থেকে শুরু করে বহুমূ্ল্য ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে - বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে। শুধু তাই নয় অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমন কি নিজস্ব এ্যারোস্পেস কোম্পানি - যাতে শিগগীরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে। কি করে এত ধনী হলেন তিনি? তিনি যেন নিজেই জানতেন তার ভবিষ্যৎ তার গল্প শুনলে মনে হয় যেন জেফ বেজোসের হাতে একটা ক্রিস্টাল বল ছিল - যাতে তিনি তার নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন। মাত্র দু'দশক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ এক উদ্যোক্তা। কিন্তু তিনি দেখতে পেয়েছিলেন এমন এক যুগ আসছে - যখন কম্পিউটারের এক ক্লিকে যে কোন জিনিস কেনা যাবে, শপিং মলের জনপ্রিয়তা কমে যাবে, দোকানগুলো ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য নানা রকমের 'অফার' দিতে বাধ্য হবে। বেশ কয়েক বছর আগে তার হাইস্কুলের বান্ধবী এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তার সব সময়ই মনে হতো জেফ বেজোস একদিন বিরাট ধনশালী হবেন। ১৯৯০ এর দশকে বেজোস: অ্যামাজন নামে অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠানের মালিক তার কথা ছিল: "ভাববেন না যে আমার এটা মনে হতো তার টাকার জন্য - বরং টাকা দিয়ে কি করা হবে, কি ভাবে ভবিষ্যৎকে বদলে দেয়া যাবে - সেটাই ছিল তার বৈশিষ্ট্য।" জেফ বেজোসের ছিল সেই উচ্চাভিলাষ, অন্তর্দৃষ্টি আর ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি বুঝতে পারার ক্ষমতা - যা হয়তো সবার থাকে না। এবং সেটা বোঝা গিয়েছিল কয়েক দশক আগেই। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, তখনও তার বাবা-মার বয়েস ১৯ পেরোয় নি। খুব দ্রুতই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর তিনি বড় হন তার মা জ্যাকি আর দ্বিতীয় স্বামী মাইক বেজোসের ঘরে। এই মাইক বেজোস তখন চাকরি করতেন এক্সন কোম্পানিতে। তার আসল দেশ কিউবায়, কিন্তু ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার পর তিনি পালিয়ে চলে আসেন আমেরিকায়। জেফরি বেজোসের এক জীবনী লিখেছেন ব্র্যাড স্টোন। তাতে বলা হয়, ছোট্ট বয়েস থেকেই জেফের আগ্রহ দেখা যায় বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংএর দিকে। তিন বছর বয়েসেই তিনি স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে তার খেলনা খুলে ফেলতে শিখেছিলেন। জেফ বেজোস যখন হাইস্কুলে পড়েন তখন তার গ্রাজুয়েশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, তিনি এমন এক অনাগত সময়কে দেখতে পাচ্ছেন - যখন মানুষ মহাশূন্যে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করবে। বিল গেটসের (ডানে) পাশে জেফ বেজোস - বিশ্বের এক নম্বর ধনী হিসেবে যার জায়গা তিনি নিয়েছেন জেফ বেজোস ইঞ্জিনিয়ারিং আর কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়েন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পর নিউ ইয়র্কে গিয়ে চাকরি করেন কয়েকটি ফিনান্স কোম্পানিতে। তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সাথে এসময়ই পরিচয় হয় তার। বেজোসের বয়স যখন ৩০, তখন একটা পরিসংখ্যান চোখে পড়ে তার - যাতে বলা হয়েছিল ইন্টারনেটের দ্রুত বৃদ্ধির কথা। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, চাকরি নয়, নিজেই কিছু একটা করবেন। বেজোস চলে গেলেন আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তের শহর সিয়াটলে। তার নিজের জমানো কিছু টাকা, আর পরিবারের কিছু সাহায্য - সব মিলিয়ে এক লাখ ডলারের কিছু বেশি অর্থ, এই ছিল তার বিনিয়োগ। সাইবারকমার্স কিং তিনি ১৯৯৫ অ্যামাজন নামে একটা কোম্পানি চালু করলেন - অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তার ব্যবসা হু হু করে বাড়তে লাগলো। অ্যামাজন এখন পৃথিবীর প্রথম 'ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানি' হতে যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠালো। পাঁচ বছর পর অ্যামাজনের ক্রেতার এ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ালো ১ কোটি ৭০ লাখে। বিক্রি শুরুতে ছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ডলার, আর পাঁচ বছর পর তা দাঁড়ালো ১৬০ কোটি ডলারে। বড় বড় কোম্পানি আমাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করলো। ১৯৯৭ সালে অ্যামাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হলো, আর অর্থ উঠলো ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বয়েস ৩৫ হবার আগেই মি. বেজোস হয়ে গেলেন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে আখ্যা দিলো 'কিং অব সাইবার-কমার্স' আর মনোনীত করলো পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়স্ক 'পিপল অব দি ইয়ারের' একজন হিসেবে। কি ছিল আমাজনের ব্যবসার কৌশল? জেফ বেজোসের কৌশল ছিল, তিনি অর্থ আয় করার জন্য অর্থ ব্যয় করতে পিছপা হন নি। অ্যামাজনে পণ্য বিক্রির জন্য তিনি ফ্রি শিপিং সুবিধা দিয়েছেন, দাম কম রেখেছেন ২৩ বছরের মধ্যে ১০ বছর ধরে - বার্ষিক লাভের কথা না ভেবে। অ্যামাজনের একটি ওয়্যারহাউসের ভেতরে কিন্ডল ই-বুক রিডারের মতো যন্ত্র তৈরির জন্য বছরের পর বছর সময় ব্যয় করেছেন। অন্যদিকে আবার অ্যামাজন যেখানে যেভাবে সম্ভব - টাকা বাঁচিয়েছেও। অ্যামাজনের হেড অফিসে কর্মীদের গাড়ি পার্ক করার জন্য পয়সা দিতে হয়েছে। সরবরাহকারীদের সঙ্গে লড়তে হয়েছে, তারা ওয়্যারহাউজে শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে গেছে, এবং যেখানে যতটা সম্ভব - ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছে। এ বছর জুন মাসে অ্যামাজন পণ্য বিক্রি করেছে ৫৩০ কোটি ডলারের। প্রথম তিন মাসে মুনাফা করেছে ২৫০ কোটি ডলার। অ্যামাজনে চাকরি করেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার লোক - যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের জনসংখ্যার প্রায় সমান। স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সাথে জেফ বেজোস আমাজনে যারা পণ্য বিক্রি করেন তাদের জন্য পণ্য আনা নেয়া, ঋণ, বিক্রির প্ল্যাটফর্ম দেয়া হচ্ছে, পাশাপাশি এর 'ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ' অসংখ্য বড় বড় কোম্পানির জন্য অনলাইন ডেটা স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে - যা এখন পৃথিবীর বৃহত্তম। গত বছর তারা খাদ্যপণ্যের কোম্পানি গোল ফুডস কিনে নিয়েছে, অনলাইন ফার্মেসি কিনেছে। আরো নানা রকম চুক্তির আলোচন চলছে। এক কথায়, অ্যামাজনের নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নেবার উৎসাহ এতটুকু কমে নি। জেফ বেজোস নিজে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার মালিক। অন্য অনেক ধনীর মতোই মি. বেজোসের শত্রু ও প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সমালোচকদের একজন। সমালোচকদের মোকাবিলা করতে এখন লবিইস্ট নিয়োগের পেছনে খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে অ্যামাজন। অনেকে বলেন, অন্য ধনীদের তুলনায় জেফ বেজোসের দাতব্য কর্মকান্ড অনেক কম। সে কারণে এখন দাতব্য কর্মকান্ডও বাড়াতে যাচ্ছেন তিনি। শিগগীরই নাকি এ নিয়ে একটি 'ঘোষণা' আসতে যাচ্ছে। | কিভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | এই চ্যানেল থেকে নানা ধরণের ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে তার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, জাস্ট গো মিস্টার সিনহা রাশেদ ও তাদের একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট। কিন্তু চ্যানেল খুললেও ওই ঘটনার আগে তারা সেটিতে কোন ভিডিও আপলোড করেননি। আবার যে ইউটিউব চ্যানেলটিতে তাদের নিয়ে ভিডিও আপলোড হচ্ছে সেটি খোলা হয়েছে ২২শে জুলাই। কিন্তু ভিডিও গুলো সব আপলোড করা হয়েছে মিস্টার সিনহা রাশেদের খুনের পর বিশেষ করে গত এক সপ্তাহে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিনহা রাশেদ: যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেনা ও পুলিশ প্রধান যা বললেন সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় পুলিশ ও ডিজিএফআই’র পরস্পরবিরোধী ভাষ্য মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ কি চাপের মুখে? নিহত মেজর সিনহার সঙ্গী সিফাতের জীবননাশের আশঙ্কা সহপাঠীদের সিনহা মো. রাশেদ খানের ফেসবুক পাতা থেকে নেয়া কী ধরণের কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছে? নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে যা বলেছেন তা হল-- তারা গত ১৩ই জুলাই জাস্ট গো নামে ফেসবুক পেজ খুলেছিলেন। যেখানে অগাস্টের ১৫ তারিখের পর থেকে ভিডিও আপলোড আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। তবে মিস্টার সিনহা সহ তাদের স্বপ্ন ছিল 'জাস্ট গো' নামে ইউটিউব চ্যানেল। সেটা তারা খুলেছেন কিন্তু সেখানে কোন ভিডিও তারা আপলোড করেননি। এর মধ্যেই ৩১শে জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় মিস্টার সিনহা রাশেদের। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এখন দেখা যাচ্ছে 'জাস্ট গো' নামের একটি চ্যানেল থেকে একের পর পর ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। সেখানে মেজর সিনহার কক্সবাজারে তৈরি ভ্রমণ চিত্র, মেজর সিনহার স্কুল বিতর্ক, 'কী ঘটেছিলো সেই রাতে সিফাতের মুখ থেকে শুনুন আসল ঘটনা', 'ডাক দিয়েছেন দয়াল আমারে' - এমন শিরোনামে এ ধরণের অন্তত ১৩টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে গত এক সপ্তাহে। সিনহা রাশেদের সহকর্মীরা কেউ আপলোড করেছে? মিস্টার সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করে বলেছেন যে এগুলো তারা আপলোড করেননি। বরং ঘটনার পর থেকে তাদের ল্যাপটপ কিংবা ফোন তাদের হাতে ছিল না ফলে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহারের সুযোগই তাদের ছিল না। পরে তারা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ইউটিউবে এসব দেখেছেন এবং সে কারণেই শিপ্রা দেবনাথ ফেসবুকে আট মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করে বলেছেন, বেশ কিছু ভিডিও তারা করলেও সেগুলোর পুরোপুরি রেডি হয়নি বলে তারা আপলোড করেননি। তবে ভিডিও গুলো দেখলে এটি পরিষ্কার যে দু একটি ভিডিও ছাড়া বাকীগুলো মূলত মিস্টার সিনহা রাশেদকে নিয়েই দেয়া হয়েছে। এবং এগুলোকে আবার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক শেয়ার বা প্রচারও করা হচ্ছে। তাহলে কারা করছে এগুলো? র্যাব কী বলছে? র্যাবের গণমাধ্যম বিষয়ক পরিচালক লে: কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলছেন যে এসব বিষয় তাদের নজরে আছে। তিনি বলছেন যে তদন্তকারী কর্মকর্তা সব বিষয় 'পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা ও তদন্ত করছেন'। তদন্তের মাধ্যমেই সব বিষয় পরিষ্কার হবে বলে আশা করছেন তিনি। কারা ইউটিউবে আপলোড করছে ভিডিওগুলো সে সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আশা করছেন পুরো বিষয়টির সুস্থ ও গুনগত তদন্ত হবে এবং এর মাধ্যমেই সেটি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তারা। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাপের খামার: আইনত নিষিদ্ধ, মানছে না কেউ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহার বিচার প্রক্রিয়া শুরু বাংলাদেশে যেসব কারণে এখন ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ টেলিমেডিসিন সেবা নিতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে রোগীদের | নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদকে নিয়ে 'জাস্ট গো' ইউটিউবে ভিডিও আপলোড কারা করছে - তা নিয়ে প্রশ্ন |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | দুর্নীতি দমন কমিশনও সম্প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০১৮ সালের 'ধারণা সূচক' অনুসারে বাংলাদেশে দুর্নীতি আরও বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এ সূচক নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই 'ধারণা জরিপের' পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সরকারের একজন মন্ত্রীও বলছেন, টিআই-এর প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে ঢালাওভাবে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান জানান, বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরও খারাপ হয়ে চার ধাপ পিছিয়ে গেছে। এটাকে তিনি বাংলাদেশের জন্য 'বিব্রতকর' বলে মন্তব্য করেন। টিআইবি বলেছে, ঘুষ লেনদেন, সরকারি ব্যবস্থাকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার, সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার এবং স্বজনপ্রীতি- এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় দুর্নীতির ধারণা সূচক। তবে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মনে করেন, এই ধারণা সূচক তৈরির পদ্ধতি সঠিক নয়। "আমরা প্রতিবারই তাদেরকে বলি যে, আপনাদের জরিপের পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের বলেন এবং তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমাদের জানান। সেগুলো থাকলে আপনি প্রমাণ করতে পারেন যে দুর্নীতি বেড়েছে, নাকি কমেছে। কিন্তু মানুষের কাছে শুনে বা ধারণা করে আপনি কিভাবে তা নিশ্চিত করবেন?" - প্রশ্ন তোলেন মি. মাহমুদ। "বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ তার মধ্যে আপনার স্যাম্পল কতটুকু, আপনি কয়জনকে শুনেছেন? আর শোনা কথা দিয়ে পরিসংখ্যানগত মূল্যায়ন করা ভাল প্রাকটিস নয় বলে আমি মনে করি। এটি সঠিক হয় না।" তবে টিআইবি দাবি করেছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতেই দুর্নীতির এই ধারণা সূচক তৈরি করা হয়। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দুর্নীতি দমনকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছে। এর মধ্যে দুদকও তাদের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। কিন্তু টিআইবি বলছে, অর্থ পাচার এবং বড় দুর্নীতির ব্যাপারে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। দুদক তা অস্বীকারও করছে না। আরো পড়তে পারেন: দুর্নীতির সূচক: বাংলাদেশের 'বিব্রতকর' অবনতি পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো যেভাবে অন্যদিকে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি আছে এটা ঠিক কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতাও বেড়েছে। "আমার কথা একদম স্পষ্ট, দুর্নীতি আছে। আমি এর সাথে পুরোপুরি একমত। কিন্তু আমি মনে করি, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেখছি এখন রাজনৈতিক কমিটমেন্টেরও কোন কমতি নেই। আমরাও পুরো স্বাধীনভাবে কাজ করছি এবং আমাদের কিছু কিছু অ্যাকশনে যারা দুর্নীতি করে বা দুর্নীতিবাজ তারা অন্তত চিন্তা করে।" "কিন্তু স্যুইপিং কমেন্ট বা মন্তব্য করাটা কারও পক্ষে ঠিক নয় যে দুর্নীতি বেড়ে গেছে। আমরা মনে করি, দুর্নীতি কমার দিকে। তবে কোন কোন সেক্টরে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেন যে বেড়েছে। ঢালাওভাবে আপনি বলতে পারেন না দুর্নীতি বেড়ে গেছে।" সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও মনে করেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা হয়েছে। "সুনির্দিষ্ট করে, ভেঙে ভেঙে যদি দেখানো হতো, কোন কোন জায়গায় দুর্নীতি বেড়েছে, তাহলে আমাদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া সহজ হতো। এমনি তারা শুধু বলে, বেড়েছে। ঠিক আছে আমরা তা নিয়ে কনসার্ন আছি। কিন্তু পুরো ডায়াগনোসিস রিপোর্ট দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।" ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির এই ধারণা সূচকে বাংলাদেশকে প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০১ সালে। এরপর থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির এই ধারণা সূচক নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বিএনপিকে নিয়ে ভারতের সমস্যাটা ঠিক কোথায়? নিরাপদ সড়ক: প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন কতদূর? শিশুকে কতোক্ষণ স্ক্রিন ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত? | 'দুর্নীতির ধারণা সূচক তৈরির পদ্ধতি সঠিক নয়': টিআই-এর রিপোর্টের জবাবে দুর্নীতি দমন কমিশন |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | লকডাউনের ভেতর স্থানীয় একজন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তার জানাজার সময় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ও তার আশেপাশের আটটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। সেখানকার সব মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। জানাজায় জনসমাগম রুখতে না পারার কারণে সরাইল সার্কেল এএসপি ও সরাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ ধরণের জমায়েত ঠিক হয়নি। এতে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এই জমায়েত ঠেকাতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশের সব জায়গায় সব ধরণের জনসমাগম-এমনকি ধর্মীয় জমায়েতও নিষিদ্ধের মধ্যে শনিবার সকালে স্থানীয় একজন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা যোবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার সময় হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম হয়। ফলে করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরাম উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এর মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এই জনসমাগমের ফলে সেই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১১ই এপ্রিলই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন আটটি গ্রাম লকডাউন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিক মাসুক হৃদয় জানান, যে আটটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে, সেগুলো মূলত ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের দুইপাশে অবস্থিত। জানাজায় এসব গ্রাম থেকে বেশিরভাগ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এসব গ্রামে মাইকিং করে পুলিশ সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। কোন কিছুর দরকার হলে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ সেসব জিনিস পৌঁছে দেবে। তবে স্থানীয়রা এই সাংবাদিকের কাছে দাবি করেছেন, ওই জানাজায় তাদের এলাকার কম মানুষ অংশ নিয়েছেন। বেশিরভাগ এসেছেন হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে। কারণ এই হুজুরের বেশিরভাগ সমর্থক সেসব এলাকায়। এখন এর দায়ভার তাদের নিতে হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। পুলিশ ধারণা করছে যোবায়ের আহমেদের মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকার মানুষ তার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারে তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার জানাজায় ব্যাপক জনসমাগম ঠেকাতে না পারার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসপি সার্কেল (সরাইল) ও সরাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি বার্তায় জানানো হয়েছে, জানাজায় লোক সমাগমের ঘটনা তদন্তে তিন সদসের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২২শে এপ্রিলের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে। লকডাউনের ভেতর এতো মানুষ কীভাবে এলেন? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক মাসুক হৃদয় জানাচ্ছেন, এই জমায়াতে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষ শুধু আশেপাশের গ্রামগুলো থেকেই নয়, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীর বিভিন্ন থানা এলাকা থেকেও এসেছেন। তারা মূলত পিক-আপ, ভ্যানগাড়ি, ইজি বাইক, সাইকেল চালিয়ে জানাজায় এসেছেন। এ সময় তাদের মহাসড়কে কোন বাধা দেয়া হয়নি। নাসিরনগর, সরাইলের মতো উপজেলাগুলো নৌকায় করে অনেকে এই জমায়েতে এসে অংশ নেন বলে জানা গেছে। মাসুদ হৃদয় বলছেন, ''এই ব্যক্তির বেশিরভাগ সমর্থক হাওর এলাকার গ্রামগুলো। এসব এলাকায় বছরের বেশিরভাগ সময় নৌকা চলাচল করে। এই ব্যক্তিরা নৌকায় করে এই সমাবেশে এসেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।'' প্রত্যাহার হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার ওসি শাহাদত হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "তিনি এখানে একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। গতকাল (শুক্রবার) মারা যাওয়ার পর রাতে তার মরদেহ মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়।" "আমরা রাতেই গিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করি। তারাও জানায় জানাজায় বড় ধরণের জমায়েত করা হবে না।" বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬শে মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন চলছে। ১৬ই এপ্রিল পুরো দেশ সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সকল প্রকার জনসমাবেশ, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জানাজায় কোনো ধরণের জমায়েতের পরিকল্পনা না থাকলেও সকালে জানাজার আগে দিয়ে মাদ্রাসার মাঠে হঠাৎ করেই কয়েক হাজার মানুষ আসা শুরু করে বলে জানান শাহাদাত হোসেন। "সেসময় কয়েকজন পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে এত মানুষ এসে পড়ে যে আমাদের আর কিছুই করার থাকে না।" পুলিশ ধারণা করছে যোবায়ের আহমেদের মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকার মানুষ তার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারে। সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরাম উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এর মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এই জনসমাগমের ফলে সেই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার আশেপাশের আটটি গ্রাম লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ''আমরা সেখানে অংশ নেয়া সবাইকে আহবান করছি, তারা যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।'' ''কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা গেলেই যেন আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। তাহলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবো।'' বলছেন মি. একরাম উল্লাহ। | করোনাভাইরাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাজায় লকডাউনের ভেতর এতো মানুষ কীভাবে এলেন? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার স্লট মেশিন। সেখানে কথা প্রসঙ্গে নেপালি নাগরিকরা জানতে চান, এসি আমদানীর মতো করে কিছু 'রুলেট মেশিন' আমদানী সম্ভব কি-না। দোকানী বিষয়টি নিয়ে তার আমদানীকারকের সাথে যোগাযোগ করেন। আমদানী নীতিমালায় রুলেট মেশিনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ফলে তা আমদানী করতে রাজী হন আমদানীকারক, এবং একটি মেশিন তিনি বৈধভাবে আমদানী করেন। সেই নেপালি নাগরিকদের একজনের নাম উঠে এসেছে সাম্প্রতিক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময়। "যে পণ্যটা আমদানি করা হয়েছে তা আমদানিযোগ্য ছিলো বলেই আমদানী হয়েছে। কমলাপুরে আসার পর কাস্টমস কর্মকর্তারা পরীক্ষা করেছেন। শুল্কও যথাযথ দেয়া হয়েছে। এরপর পণ্য খালাস করা হয়। এখানে একটি ক্যাসিনো উপকরণ ছিলো। পণ্যটা অবৈধ ছিল না" বলছিলেন একজন আমদানীকারক। যেই একটি পণ্যের কথা এই আমদানীকারক বলছেন তার নাম রুলেট, যা মূলত ক্যাসিনোতে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত হয়। তার মতে আমদানী বৈধ ছিলো বলেই তিনি একটি রুলেট ব্যাংকে এলসি খুলে নিয়ম মেনে আমদানী করেছেন। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানী নীতিমালার সুযোগ নিয়েই রুলেট মেশিন, টেবিল, ক্যাসিনো ওয়ার গেইম টেবিল বা স্লট মেশিন আমদানী হয়েছে। বাংলাদেশে আনা প্রতিটি রুলেটের দাম প্রায় সাত হাজার ডলার কিন্তু তারপরেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে ঢাকার বেশ কিছু ক্যাসিনোতে এ যন্ত্রটি দেখা যাওয়ার পর বৈধভাবে আমদানী করা আমদানীকারকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও রাজস্ব কর্মকর্তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অবশ্য বলছেন, ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানীর পরিমাণ খুব বেশি নয়। "আমদানীর ভলিউম খুব বেশি না। কালেভদ্রে আমদানী হয়েছে। কয়েক জায়গায় দেখেছি খেলার সামগ্রী হিসেবে এসেছে। অন্য দ্রব্যের ফাঁকে নিয়ে এসেছে এমন কিছু ঘটনাও দেখেছি"। অর্থাৎ আমদানী নীতিমালা মেনে আমদানীর সুযোগ থাকলেও ক্যাসিনো সামগ্রী আনা হয়েছে কার্যত খেলার সামগ্রীর আড়ালে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঢাকায় জুয়া: ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো কৈশোরে পা দেবার আগেই অন্ধকার জীবন সৌদি আরবে কি এবার বিদেশি পর্যটক দেখা যাবে? উৎস স্থানের চেয়ে ঢাকায় কেন ইলিশের দাম কম? ক্যাসিনো টেবিল। ঢাকার ক্যাসিনোগুলোতে এবারের অভিযানে অংশ নেয়া কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রচলিত জুয়ার বাইরে ক্লাবগুলোতে সর্বোচ্চ ৫টি করে বাকারা মেশিন, সব ক্যাসিনো মিলিয়ে ৩০-৪০টির মতো রুলেট ও আর প্রতি ক্লাবে স্লট মেশিন পাওয়া গেছে ৪/৫ টি করে। এর মধ্যে বাংলাদেশে আনা প্রতিটি রুলেটের দাম প্রায় সাত হাজার ডলার, আর আর স্লট মেশিনের দাম গড়ে দশ হাজার ডলারের মতো বলে বলছেন আমদানীকারকরা। কিন্তু ক্যাসিনো বাংলাদেশে অবৈধ হলে আমদানী নীতিমালায় কি করে ক্যাসিনো সামগ্রী বৈধ করা হলো? জবাবে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এটা আগে নীতিনির্ধারকদের ধারণাতেই আসেনি যে এখানে এতো ক্যাসিনো গড়ে উঠবে। "আমরা তো ভাবিনি। অনেকের ধারণাতেই আসেনি। আর একটা বিষয় হলো ট্রেড ফেসিলিটেশন। এর আওতায় যত কম আইটেমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় ততই সেই দেশের ট্রেড লিবারেল। সেজন্য যত কম পণ্য নিষিদ্ধ করা যায় সেভাবে পলিসি তৈরি করে।" তবে এবার ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানীর ও ছাড় করানোর ওপর ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড। মিস্টার ভুঁইয়া বলছেন, তিনি খুব শিগগিরই আমদানী নীতিমালা সংশোধনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবেন। তবে ভবিষ্যতে বিশেষ পর্যটন জোনগুলোতে ক্যাসিনোর অনুমোদন দেয়া হলে সেটি তখন সরকার বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। | ক্যাসিনো অবৈধ হলে উপকরণ বৈধ ছিলো কেন? |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ব্রেন্টন টারান্টকে শনিবার ক্রাইস্টচার্চে এক আদালতে হাজির করা হয় পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একটি শহরের যে হোটেলে তিনি অবস্থান করেছিলেন, সেই হোটেলের মালিক ব্রেন্টন টারান্টের ছবি দেখে তাকে চিনতে পারেন। ওশু থাং হোটেলের মালিক সৈয়দ ইসরার হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছেন,২০১৮ সালের অক্টোবরে ব্রেন্টন টারান্ট তার হোটেলে দুই রাত কাটান। তিনি একাই এসেছিলেন। হোটেলে অবস্থানকালে তিনি চারপাশের এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। অন্য সব পর্যটকের মতই তিনি অনেক ছবি তোলেন। পাকিস্তানের এই অঞ্চলটি ট্রেকারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ব্রেন্টন টারান্ট: গাড়ি চালিয়ে মসজিদে হামলা চালাতে যাওয়ার সময় মিস্টার হোসেনের সোশ্যাল মিডিয়া টাইমলাইনে ব্রেন্টন টারান্টের একটি ছবি ছিল। সেটি তিনি মুছে ফেলেন। তবে গত অক্টোবরে পোস্ট করা ঐ ছবির সঙ্গে ছিল পাকিস্তান সম্পর্কে ব্রেন্টন টারান্টের প্রশংসাসূচক মন্তব্য। এতে ব্রেন্টন টারান্ট লিখেছিলেন, "পাকিস্তান এক আশ্চর্য জায়গা, বিশ্বের সবচেয়ে দয়ালু এবং অতিথিপরায়ণ মানুষে পরিপূর্ণ একটি দেশ।" পাকিস্তান সফরে গিয়ে দেশটি সম্পর্কে ব্রেন্টন টারান্টের মন্তব্য হোটেল মালিক সৈয়দ ইসরার হোসেন জানান, পাকিস্তান সফরের সময় তিনি মিস্টার টারান্টের মধ্যে মুসলিমদের বা ইসলাম সম্পর্কে কোন বিদ্বেষ দেখেননি। তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়ংকর হামলার ঘটনায় তিনি রীতিমত স্তম্ভিত। আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা, বাংলাদেশী সহ নিহত ৪৯ ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারীর নানা 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' যেভাবে অল্পের জন্য বেঁচেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ব্রেন্টন টারান্ট শুধু পাকিস্তান নয়, উত্তর কোরিয়া, তুরস্ক, পোল্যান্ড সহ আরও কিছু দেশ ভ্রমণ করেন সম্প্রতি। তবে এর ফাঁকে ফাঁকে তিনি নিউজিল্যান্ডে লম্বা সময় কাটিয়েছেন। অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট কীভাবে উগ্র ডানপন্থী এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মতাদর্শে দীক্ষা নেয়, তার তদন্ত চলছে। তবে এর সঙ্গে তার বিভ্ন্নি দেশ ভ্রমণের কোন সম্পর্ক আছে কীনা তা স্পষ্ট নয়। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ৪৯ জন। এই হামলার ঘটনা ব্রেন্টন টারান্ট তার মাথায় লাগানো ক্যামেরা দিয়ে সরাসরি ফেসবুকে প্রচার করেছিলেন। | ক্রাইস্টচার্চ হামলা: ব্রেন্টন টারান্ট পাকিস্তান সফরে গিয়ে দেশটি সম্পর্কে যা বলেছিলেন |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা: নিরাপদে দেশে ফেরায় ক্রিকেটারদের জন্য প্রার্থনা শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যাবার পর শনিবার রাতে দেশে ফিরে বাংলাদেশ দল। বিবিসি সংবাদদাতা রায়হান মাসুদ জানাচ্ছেন, ক্রিকেটারদের নিরাপদে ফেরা উপলক্ষে আজ সোমবার দলের খেলোয়াড়দের জন্য একটি মিলাদ অনুষ্ঠান আয়োজেন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মিলাদ শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান: "এরকম একটি সহিংস ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্য মানসিক সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার কথা চিন্তা করছে।" "আমরা ইতোমধ্যে মানসিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভেবেছি। সামনে বিশ্বকাপ, একজন মনোবিদের সাথে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা হবে, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এনালাইসিস করা হবে", জানান মি. হাসান। এদিকে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, "পাকিস্তানে যখন মেয়েরা খেলতে গিয়েছিল তখন আমরা জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের পরামর্শ নিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় নিরাপত্তা কিন্তু নামমাত্র।" "সেখানে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির জন্যও নিরাপত্তা নামমাত্র। একেক দেশে নিরাপত্তার ধারণা ভিন্ন।" তবে এরকম একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা মি. নাজমুল হাসানের। ১৫ই মার্চ ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মি. নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছিলেন যে এরপর থেকে ক্রিকেট দলের যে কোনো সফরে বিসিবি বিশেষ নিরাপত্তা দাবি করবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, "আজকের ঘটনার পর যে দেশেই দল যাক না কেন, আমাদের ন্যুনতম নিরাপত্তার যে চাহিদা আমরা জানাবো সেটা দিতে হবে। নতুবা সেখানে আমরা ট্যুর করতে পারবো না।" ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় ঘটনাস্থলের ৫০ গজের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কয়েকজন। গুলি যখন শুরু হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তখন মসজিদের বাইরেই ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। পরে একটি পার্কের ভেতর দিয়ে টিম বাসে উঠে যান তারা। এই ঘটনার পরদিনই নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে ক্রিকেট দল। আরো পড়তে পারেন: আফ্রিদি, ইমরান, কোহলিরা হামলা নিয়ে কী বলছেন যেভাবে অল্পের জন্য বেঁচেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী হামলার খবর শিশুদের কীভাবে বলবেন? | ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা: তামিম, মুশফিক, মাহমুদল্লাহদের মানসিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা বোর্ডের |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টস কারখানা এসবের প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ স্টাডিজের শিক্ষক,ড: জাকির হোসেন, তার একজন সহকর্মীকে নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। তিনি বলছেন, ঢাকা ও গাজীপুরে নারী শ্রমিকের ওপর চালানো ঐ গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশের বেশি নারী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে কোনো না কোনো হেনস্থা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে বড় অংশটি মৌখিক নির্যাতনের শিকার। বাংলাদেশে প্রায় ৪৪ লাখ পোশাক শ্রমিক কাজ করেন, তাদের বড় অংশটি নারী এই গবেষণার সূত্র ধরে কথা বলতে গিয়েছিলাম ঢাকার পল্টন এবং তেজগাঁও এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের সঙ্গে। বেশির ভাগ শ্রমিক বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর একজন রাজি হলেন, নিজে এবং তার কয়েকজন বন্ধু-সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে। শর্ত একটাই তাদের নাম এবং কারখানার নাম গোপন রাখতে হবে। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাদের রোজকার অভিজ্ঞতার কথা। "লাইন চিফ, সুপারভাইজার বাবা-মা তুলে বকা দেয়, খারাপ ধরণের বকা।" "কাজ চাপায় দেয়, না পারলে গালিগালাজ করে, গায়ে হাত দেয়, হাজিরা কাটে।" ৮০ শতাংশের বেশি নারী শ্রমিক গালিগালাজ, হুমকি এবং ধমকসহ মানসিক নিপীড়নের শিকার হন "কাজ না পারলে, গালি দেয়, ...কের বাচ্চারা কাম করস না, ...রা কাম করস না।" "কয়েক দিন আগেই একটা মেয়ের গায়ে হাত দিছে।" "বলে এখানে আইছস কেন, কাকরাইল মোড়ে দাঁড়াই থাকতে পারছ না?" যখন তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা প্রতিবাদ কেন করেন না, এক সঙ্গে প্রায় সব কজন বলে উঠলেন, প্রতিবাদ করলেও বিপদে পড়তে হয় তাদের। বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন, এর মধ্যেও কয়েকজন ছিলেন, যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন। কিন্তু এই অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, পোশাক কারখানার সেই মধ্য-সারির কর্মকর্তা -অর্থাৎ সুপারভাইজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার বা যিনি কিউসি নামে পরিচিত- তারা অনরেকর্ড কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, একজন বলছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ আদায় করার জন্য তাদের কঠোর হতে হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ তাদের এক ধরণের টার্গেট বেধে দেয়। সেটি পূরণ করতে হয় তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রম আইনে এই নিয়ে কি বলা আছে? জানতে চেয়েছিলাম শ্রমিক অধিকার নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিলসের সুলতান উদ্দিন আহমেদের কাছে। "আইনে বলা আছে, পদমর্যাদা যাই হোক, কোন নারীর মর্যাদা হানি হয়, এমন কথা কর্মক্ষেত্রে তাকে কেউই বলতে পারেনা। কিন্তু নালিশ করলে পরে তারা প্রতিকার পান না, এটি একটি বড় সমস্যা।" পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন বন্ধের জন্য উদ্যোগ নেবার কথা অনেকদিন ধরে বলে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। অকু টেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ শ্রমিকদের অভিযোগ শোনার জন্য একটি হটলাইন চালু করেছে, তবে তার কথা জানেনা শ্রমিকেরা। বেশিরভাগ কারখানাতেই অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা নেই। কিন্তু যেসব কারখানায় অভিযোগ জানাতে পারেন শ্রমিকেরা, তার প্রেক্ষাপটে ব্যবস্থা কতটা নেয়া হয়? জানতে চেয়েছিলাম অকু টেক্স গ্রুপ নামে একটি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহানের কাছে। তিনি বলছেন, প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ঘটনাও ঘটেছে তার কারখানায়। "অভিযোগ জানানোর বাক্স আছে। তাতে জমা পড়া অভিযোগ ক্রসচেক করা হয়। একটি কমিটি আছে, সেই সঙ্গে শ্রমিকদেরও একটি কমিটি আছে, দুটি মিলে বসে দেখে সমস্যা কি। আসলেই যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটি প্রমানিত হলে তাকে পদচ্যুত করা হয়। আর সেটি আমি বাহবা পাবার জন্য করিনা। কারখানার জন্য ঐ ব্যক্তি ক্ষতিকর এজন্য করি।" তবে, মি. সোবহান স্বীকার করেছেন বেশির ভাগ কারখানার অবস্থাই তার প্রতিষ্ঠানের মত নয়। ফলে এই মূহুর্তে বাংলাদেশে যে প্রায় ৪৪ লাখ পোশাক শ্রমিক কাজ করেন, তাদের বড় অংশটি প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে, তা বন্ধে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। | 'গালি দেয়, গায়ে হাত দেয়, প্রতিবাদ করলে চাকরি নাই' |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | কোরানের একটি আয়াত যাতে যীশুর উল্লেখ আছে জবাবে আমি বলি যে তুরস্ক একটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ - কাজেই ২৫শে ডিসেম্বর বছরের আর দশটা দিনের মতোই। সে কি? তার মানে কি সেখানে বড়দিন হয় না? মনে রাখবেন, শুধু তুরস্ক নয় বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বড়দিন পালন করে না। এটা যতই শুনতে অবাক লাগুক, পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকেরই ধারণা যে সারা পৃথিবীতেই বড়দিনের ছুটি পালিত হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো বড়দিন হচ্ছে যীশুর জন্মদিন - যিনি খ্রিস্টানদের নবী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: শিশুদের জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা কী? বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বেচবে নেপাল, ভারত দেবে গ্রিড সাংবাদিকদের চোখে মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা খ্রিস্টমাসের আলোকসজ্জা ইহুদি, হিন্দু বা মুসলিমদের জন্য এটা কোন ছুটির দিন নয়। অন্যভাবে বলতে গেলে যেমন মুসলিম বিশ্বে পরিবারের সদস্যরা একসাথে হন ঈদের দিন, বড়দিনে নয়। এই পার্থক্যটুকু উপলব্ধি করা জরুরি, তবে আমাদের মধ্যে যে মিলও আছে তা-ও জানা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিমদের কাছে যীশু হচ্ছেন ঈসা নবী যা জেনে পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিস্টানরা অবাক হতে পারেন তা হলো - ইসলাম যীশুর জন্মদিন পালন না করলেও - তাকে সম্মান করেন। মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে খ্রিস্টানদের যীশুকে গভীরভাবে সম্মান করেন। নবী মোহাম্মদের আগে অবতীর্ণদের মধ্যে যীশুকে সবচেয়ে সম্মানিতদের অন্যতম বলে স্থান দিয়েছে কোরান। সত্যি কথা হলো, কোরানে অসংখ্যবার উল্লিখিত হয়েছে যীশুর (যাকে আরবিতে বলা হয় ঈসা) নাম, নবী মোহাম্মদের নামের চেয়েও বেশিবার। কোরানের বর্ণনা অবলম্বনে একজন মুসলিম শিল্পীর আঁকা কুমারী মেরির ছবি ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন কুমারী মেরি । আরবিতে তার নাম মরিয়ম। মেরি বা মরিয়মের নামে কোরানের একটি পূর্ণাঙ্গ সুরার নামকরণ হয়েছে - যাতে কুমারীর গর্ভ থেকে যীশুর জন্মের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। তবে ইসলামের এই কাহিনিতে কোনো জোসেফের উল্লেখ নেই, নেই কোন যীশুর জন্মের বার্তাবাহী জ্ঞানী ব্যক্তি বা পশুর আস্তাবলের কথাও। এখানে আছে, মেরি একাই যীশুর জন্ম দিয়েছিলেন মরুভূমিতে, একটি মরা খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে। সেখানে তার খাবার জন্য গাছ থেকে পাকা খেজুর পড়ে, এবং তার পায়ের কাছে পানির ধারার সৃষ্টি হয়। মেরি এবং তার কুমারী অবস্থায় যীশুর জন্মের গল্প শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মনে দাগ কেটেছে। একজন অবিবাহিত নারী সন্তান জন্ম দেবার ফলে তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু যীশু - নবজাত শিশু অবস্থা থেকেই ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ হিসেবে কথা বলতে শুরু করেন। এই যাদুকরী ঘটনার পর তার মায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা থেমে যায়। এটি হচ্ছে সংস্কারের ওপর বিজয়ের এক গল্প। আত্মার নবী মুসলিমরা যখন যীশুর নাম নেন, তখন তাদের 'তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক' বলতে হয়। তা ছাড়া মুসলিম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী শেষ বিচারের দিনের আগে - ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য - কে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন? ঠিকই ধরেছেন, যীশু। মুসলিম সাহিত্যে তাকে যেভাবে মহিমান্বিত করা হয়েছে তা শুধু কোরানেই সীমিত নয়। সুফী দার্শনিক আল-গাজ্জালি যীশুকে বর্ণনা করেছেন 'আত্মার নবী' বলে। ইবনে আরাবি তার সম্পর্কে লিখেছেন 'সন্তদের নিশানা' হিসেবে। মুসলিম বিশ্ব জুড়েই ঈসা এবং মরিয়মের নামে শিশুদের নাম রাখা হয়। খ্রিস্টান পরিবারে কি মোহাম্মদের নামে শিশুর নাম রাখার কথা কেউ কল্পনা করতে পারেন? ইসলাম ধর্মের সাথে যীশু পরিচয়ের ঐতিহাসিক কারণ আছে। ধর্ম হিসেবে ইসলামের জন্ম হয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে। ততদিনে মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্ম ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ইতালির স্যান পেত্রোনিও ব্যাসিলিকায় আক্রমণের চেষ্টার সন্দেহে পাঁচ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাইবেলে নবী মোহাম্মদের কোন উল্লেখ নেই। কিন্তু ইসলাম যদিও যীশুকে সম্মান করে, তবু এটা বলা খুব একটা ভুল হবে না যে খ্রিস্টান চার্চ সবসময় এ অনুভূতির সদয় প্রত্যুত্তর দেয়নি। ইতালির বোলোনায় পঞ্চদশ শতকের স্যান পেত্রোনিও গীর্জায় একটি দেয়ালচিত্র আছে যাতে ইসলামের নবীকে দেখানো হয়েছে নরকে, তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। ইউরোপে এমন অনেক শিল্পকর্ম আছে যাতে তাকে অবমাননার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। অবশ্যই বলতে হবে - এ যুগে ইসলাম সম্পর্কে খ্রিস্টান চার্চের অবস্থান মোটেও এরকম নয়। জিহাদি আক্রমণের নিন্দা জানাতে রোমের একটি গীর্জায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা ক্যাথলিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সময় বদলে গেছে, কিন্তু আমাদের এই যুগে নতুন সব ধর্মীয় দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষমূলক সংস্কার, এবং উগ্রপন্থী সহিংসতার জন্ম হয়েছে। ২০০২ সালে বোলোনার চার্চের দেয়ালচিত্র বোমা মেরে উড়িযে দেবার ষড়যন্ত্রের জন্য ইসলামী জঙ্গীদের সন্দেহ করা হয়। আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ বোলোনার ওই ঘটনার পরবর্তীকালে ইসলামের নামে ইউরোপে এবং বহু মুসলিম দেশেও বড় বড় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে - যাতে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। এগুলোর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সম্প্রীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেকারণেই মুসলিমদের মধ্যে যীশুকে কিভাবে চিত্রিত করা হয়, এবং তার গুরুত্বই বা কি - এটা উপলব্ধি করাটা হয়তো আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা খ্রিস্টানদের জন্য যেমন, তেমনি মুসলিমদের জন্যও। নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে - তা দূর করার একটা ভালো পন্থা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যেসব অভিন্ন ব্যাপার আছে তা তুলে ধরা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ভয়াল যীশু' দিয়ে বড়দিনের গৃহসজ্জা নিয়ে বিতর্ক গর্ভের শিশুর আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় 'যীশু'কে দেখেছেন এক মার্কিন দম্পতি আমেরিকার স্কুলে ধর্মগ্রন্থ পড়া বন্ধ হয়েছিল যে মামলায় নানা শংকার মধ্যে ঢাকার একটি পরিবারের বড়দিন | বড়দিন: যে কারণে মুসলিমরাও সম্মান করেন খ্রিস্টানদের যীশুকে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে সোনাগাজীতে সমাবেশ ৯ই এপ্রিল মামলাটি পাওয়ার পর গত পাঁচদিন ধরে তদন্ত করে পুলিশের কেন্দ্রীয় তদন্ত বিভাগ বা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, তারা নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে। ফেনীর সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলার সূত্র ধরে ৬ই এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ই এপ্রিল সে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায়। মামলাটি নিয়ে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠার পর ৯ই এপ্রিল মামলাটি তদন্তের ভার দেওয়া হয় পিবিআই'কে। আজ ঢাকায় পিবিআই প্রধান বনজ কান্তি মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছেন, এবং প্রধান আসামীদের ধরতে পেরেছেন। বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই প্রধান হত্যার পরিকল্পনা কীভাবে হয় বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ৫ই এপ্রিল সকালে মাদ্রাসার একটি হস্টেলে বসে রাফিকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করা হয়। "মাদ্রাসার দুটো ছাত্রাবাসের একটিতে - পশ্চিম হস্টেল- বসে পাঁচজন মিলে রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা পরিকল্পনা করা হয়।" মি মজুমদার বলেন, দুটি কারণে তাকে হত্যার এই পরিকল্পনা হয়। এক, হত্যাকারীরা মনে করেছে সে (রাফি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে 'আলেম সমাজকে হেয় করেছে'। দ্বিতীয় কারণ, নুসরাত আসামীদের একজনের প্রেমের প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করায় ঐ ব্যক্তি তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। হত্যার এই পরিকল্পনা তারা মাদ্রাসার আরো পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে জানায় যাদের দুজন ছাত্রী। "একটি মেয়ের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনটি বোরকা এবং কেরোসিন জোগাড় করে আনার।" বনজ মজুমদার বলেন, ৬ই এপ্রিল পরীক্ষার দিনে সকালে পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐ দুই ছাত্রীর একজন অন্য এক ছাত্রীকে মারা হচ্ছে বলে নুসরাতকে ফুসলিয়ে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষারত অন্য কজন ওড়না পেঁচিয়ে তাকে বেঁধে ফেলে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাইরে গেটে বেশ কজন পাহারায় ছিল। ঘটনা শেষে, কয়েকজন বোরকা পরে বেরিয়ে যায়। বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ৬ই এপ্রিল তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নুসরাত জাহান রাফি সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তার ভাইয়ের কাছে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে প্রথমে তাদের সন্দেহ হলেও পরে তাতে সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন তারা। নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকায় সিপিবি'র প্রতিবাদ সমাবেশ রাফির এই 'উস্তাদ' কে? "প্রথমে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল এরকম শারীরিক অবস্থায় এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া কী সম্ভব? সে আরো কিছু বলে কিনা তা জানতে আমাদের দুজন অফিসার হাসপাতালে রাতদিন ছিলেন। মূর্ছার মধ্যে সে যা বলার চেষ্টা করেছে, সে সব বক্তব্যের সাথে তার ভাইকে দেওয়া বক্তব্যের মিল রয়েছে।" মি মজুমদার বলেন, ঘোরের মধ্যে রাফি মাঝে মধ্যে 'উস্তাদ' শব্দটি বলতো । "এই উস্তাদটি কে আমরা তা বের করার চেষ্টা করবো।" পিবিআইয়ের প্রধান বলেন, নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকাণ্ডের সাথে তারা এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে একজন নারী সহ আটজন আটক হয়েছেন। "এরা ভেবেছিল তারা ঘটনা সামাল দিতে পারবে। কারণ আগেও রাফির গায়ে চুনকালি মাখিয়েছিল তারা, তার জন্য রাফিকে পাহাড়তলি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল । সে ঘটনা তারা সামলেছিল। তারা ভেবেছিল এবারও তারা পারবে।" | মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানকে কীভাবে মারা হয়েছিল - বাংলাদেশ পুলিশের ভাষ্য |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | মার্ক এবং লিন বেনিওফ: কিনে নিয়েছেন টাইম ম্যাগাজিন এক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহারণ হচ্ছেন মার্কিন ধনকুবের মার্ক বেনিওফ এবং তার স্ত্রী। দুজনে মিলে কিনে নিয়েছেন টাইম ম্যাগাজিন। মিস্টার বেনিওফ হচ্ছেন বিজনেস সফ্টওয়্যার কোম্পানি সেলসফোর্স ডট কমের মালিক। তিনি যুক্তরাষ্ট তথা বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা এই সংবাদ সাময়িকী কিনে নিয়েছেন ১৯ কোটি ডলারে। তার আগে আমাজনের মালিক জেফ বেজোস কিনে নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা। ঐ একই বছরে আরেক মার্কিন ধনকুবের জন হেনরি কিনেছেন বস্টন গ্লোব পত্রিকা। এরকম উদাহারণ সাম্প্রতিক সময়ে আরও অনেক। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের বিধবা স্ত্রী লরেন পাওয়েল আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার কিনেছেন। বায়োটেক বিলিওনিয়ার প্যাট্রিক সুন শিয়ং কিনেছেন লস এঞ্জেলেস টাইমস সহ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টের আরও কয়েকটি নামকরা কাগজ। বিশ্ব জুড়েই বড় বড় সংবাদপত্রগুলির এখন দুর্দিন চলছে। সংবাদপত্রের সার্কুলেশন কমছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের জন্য তাদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে অন্যদের সঙ্গে। কাজেই এই দুর্দিনে বড় বড় ধনকুবেররা যখন বিশাল অংকের টাকা নিয়ে এগিয়ে আসছে, তখন তাতে সাড়া না দিয়ে উপায় থাকছে না তাদের। মিডিয়া এনালিস্ট কোম্পানি 'এনডার্স অ্যানালাইস' এর ডগলাস ম্যাকাবে বলছেন, সংবাদপত্রগুলি এখন বিপুল চাপের মুখে আছে। কারণ তারা শুরুতে অনলাইন সংস্করণ ফ্রি করে দিয়ে ভুল করেছিল। আর এখন ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাবদ তারা যা আয় করছে তা আসলে প্রিন্ট সংস্করণে পাওয়া বিজ্ঞাপন থেকে অনেক কম। লস এঞ্জেলেস টাইমস কিনেছেন বায়েটেক বিলিওনিয়ার প্যাট্রিক সুন শিয়ং ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে এখন সংবাদপত্র শিল্প আর আগের মতো আকর্ষণীয় নয়। তাহলে বিশ্বের নামকরা ধনীরা কেন এক্ষেত্রে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন? কিসের আকর্ষণে? মিস্টার ম্যাকাবে মনে করেন, অর্থ নয়, নামকরা সংবাদপত্রগুলোর প্রভাব-প্রতিপত্তির আকর্ষণেই তারা এটা করছেন। "বিত্তশালীরা সবসময়েই সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে সেসব প্রভাবশালী পত্রিকা, যার মাধ্যমে তারা প্রতিপত্তি অর্জন করতে পারবেন।" তবে বস্টনের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড্যান কেনেডি বলছেন, প্রতিপত্তি শুধু নয়, অন্য কারণও আছে সংবাদ মাধ্যম কেনার জন্য ধনকুবেরদের এই আগ্রহের পেছনে। মিস্টার কেনেডি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বই লিখেছেন, যার শিরোণাম, "হাউ জেফ বেজোস এন্ড জন হেনরি আর রিমেকিং নিউজপেপার্স ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি।" টাইম ম্যাগাজিন বিক্রি হলো এমন সময় যখন পত্রিকাটির সার্কুলেশন দ্রুত কমছে "আমি বলবো এটি তাদের অহমিকা এবং ভালো কিছু করার সত্যিকারের বিশ্বাস, এই দুয়ের সম্মিলন। এরা মনে করছে এসব সংবাদপত্রের আসলে যেটা ঘাটতি তা হলো আর্থিক বিচক্ষণতা। যদি তারা মালিক হতে পারে, তাহলে এসব সংবাদপত্র আবারও ভালো করবে।" ওয়াশিংটন পোস্টের বেলায় এই আত্মবিশ্বাস যে ফল দিচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। জেফ বেজোস তার আমাজনকে ব্যবহার করে ওয়াশিংটন পোস্টের গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়েছেন। এটি এখন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। আরও পড়ুন: 'গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ পশ্চিমা দেশগুলোতেও' গণতন্ত্র ও ডিজিটাল প্রযুক্তি: মুখোমুখি অবস্থান? হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক নিষিদ্ধের তীব্র সমালোচনা জেফ বেজোসের এই সাফল্য হয়তো অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছে, বলছেন মিস্টার কেনেডি। প্যাট্রিক সুন শিয়ং যখন এই গ্রীস্মে বস্টন গ্লোব পত্রিকা কিনে নেন, তখন তিনি বলেছিলেন, এর পেছনে কাজ করেছে তার দক্ষিণ আফ্রিকায় বেড়ে উঠার সময়কালের অভিজ্ঞতা। বর্ণবাদের যুগে সেখানে সংবাদপত্রের কোন স্বাধীনতা ছিল না। মিস্টার সুন শিয়ং 'ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবরের বিরুদ্ধেও যুদ্ধের ঘোষণা দেন। তার ভাষায় এটি 'এই যুগের ক্যান্সার'। তিনি বলেন, তার পত্রিকা হবে সম্পাদকীয় সততা এবং স্বাধীনতার দুর্গ। জেফ বেজোস যখন ওয়াশিংটন পোস্ট কেনেন, তখন তিনিও এরকম মহতী উদ্দেশ্যের কথা বলেছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট ঘুরে দাঁড়িয়েছে এটি জেফ বেজোস কিনে নেয়ার পর। এই ধনকুবেররা যে নামকরা সব সংবাদপত্র কিনে নিচ্ছেন তা কি এসব সংবাদপত্রের জন্য সুখবর? মিস্টার কেনেডি বলছেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে বিকল্প কি সেটা ভাবতে হবে। "গত অর্ধ শতক ধরে আমরা দেখছি সংবাদপত্রগুলো তাদের সংবাদকর্মীদের কেবলই ছাঁটাই করে চলেছে মুনাফার জন্য। সেই অর্থে এটা ভালো খবর যে জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে এই বিত্তশালীরা এসব সংবাদপত্র কিনছে।" কিন্তু তার মানে এই নয় যে এদের মিশন সফল হবে। ফেসবুকের সহ প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজেস একশো বছরের পুরোনো ম্যাগাজিন দ্য নিউ রিপাবলিক কিনে নিয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু সেখানে দুই কোটি ডলার ঢালার পর তাকে এই পত্রিকা বিক্রি করে দিতে হয়। মিস্টার কেনেডি বলছেন, টাইম ম্যাগাজিনের নতুন মালিক মিস্টার বেনিওফকেও শুরুর কয়েকবছর লোকসানের ঝুঁকি নিতেই হবে। কারণ গণমাধ্যম ব্যবসা এখন যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেখানে একটা নতুন পথ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে না। | বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা কেন নামকরা পত্রিকাগুলো কিনে নিচ্ছে |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | গত ২৮শে মার্চ বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন , দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি তারা। তিনি বলেন, পুলিশ তাদের কাছে দুটো তথ্য জানতে চেয়েছিল। ছাত্রীদের বয়স কত আর তাদের শরীরে ধর্ষণের আলামত আছে কিনা। ডা: সোহেল জানান, সবগুলো রিপোর্ট পাবার পর মেডিকেল বোর্ডের করা চূড়ান্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে আজ হস্তান্তর করা হয়। "তাদের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। আর মেডিকেল পরীক্ষায় তাদের শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি আমরা। ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। দেরিতে নমুনা নেয়াও একটা কারণ হতে পারে" - বলেন সোহেল মাহমুদ। গত ২৮শে মার্চ বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে ঐ দুই শিক্ষার্থী ৬ই মে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার মোট পাঁচ জন আসামীর সব কজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আরো পড়ুন: বনানী ধর্ষণ: আসামীদের 'খুঁজে পাচ্ছে না' পুলিশ বনানী ধর্ষণ: আদালতে দুই ছাত্রীর জবানবন্দী বনানী ধর্ষণ: নাঈম আশরাফ সাত দিনের রিমাণ্ডে বনানী ধর্ষণ মামলার আসামী নাইম আশরাফ আটক | বনানীতে দুই ছাত্রীকে 'ধর্ষণের আলামত' পাওয়া যায়নি |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি তার এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ভারতের গণমাধ্যমেও তার বক্তব্যকে 'বিভেদ সৃষ্টিকারী' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে নেপালের ভেতরেও তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে নেপালের বিরোধ চলছে। ওলি কি বলেছেন? প্রধানমন্ত্রী ওলির বক্তব্যের যে অংশটি ব্যাপকভাবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, রামায়ণে উল্লেখিত অযোধ্যার অবস্থান নিয়ে তিনিএকাধিক মন্তব্য করেছেন। ''আমরা এখনো মনে করি, আমরা (নেপালিরা) সীতাকে ভারতের রাজপুত্র রামের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দিয়েছিলাম অযোধ্যার রাজপুত্র রামের কাছে, ভারতের রামের কাছে নয়। অযোধ্যা হলো বীরগঞ্জের খানিকটা পশ্চিমের একটি গ্রাম। সেটা এখন আর অযোধ্যা নামে নেই।'' তিনি বলেছেন। কেপি শর্মা ওলি আরও প্রশ্ন তোলেন যে, রাম যদি ভারতেই থাকতেন, তাহলে কীভাবে অযোধ্যার রাজার পুত্র জনকপুরে বিয়ে করতে আসেন? ''জনকপুর (সীতার জন্মস্থান) যদি এখানে থাকে আর অযোধ্যা যদি সেখানে (ভারতে) থাকে, তাহলে তাদের বিয়েটা কীভাবে হলো? সেই আমলে কী কারো পক্ষে এটা করা সম্ভব ছিল? সেই সময়ে টেলিফোন-মোবাইল ছিল না! তাহলে কীভাবে (এই রাজকন্যার ব্যাপারে তিনি) জানলেন? সেটা জানার কোন সম্ভাবনা ছিল না,'' তিনি বলছেন। আরো পড়ুন: নেপাল গাধিমাই: 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় রক্তাক্ত' উৎসব হিমালয়ে নতুন রাস্তাকে কেন্দ্র করে ভারত ও নেপালের মধ্যে সংঘাত ভারতের দাবি করা ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করলো নেপাল একটি বাদে সব ভারতীয় নিউজ চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ নেপালে ভারতের প্রতিক্রিয়া এই বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই ভারতের সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ভারতের নিউজ এজেন্সি পিটিআই এই বক্তব্যকে 'রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টিকারী' এবং ভারতকে আহত করার জন্য 'অবাক করা পদক্ষেপ' বলে বর্ণনা করেছে। ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র বিজয় শঙ্কর শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ওলির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। বিজয় শঙ্কর শাস্ত্রী বলেছেন, দেবতা রাম ধর্মবিশ্বাসের একটি ব্যাপার এবং সেটা নিয়ে মানুষ কাউকে খেলা করার সুযোগ দেবে না, তা তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী বা অন্য যে কেউ হোন না কেন। আরেকটি বার্তা সংস্থা আইএএনএস প্রধানমন্ত্রী ওলির বক্তব্যকে 'দুঃখজনক' বলে বর্ণনা করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, তার এই বক্তব্যকে দেশের (ভারতের) মানুষ বিশ্বাস করে না, কারণ এটা এমন এক সময়ে দেয়া হয়েছে, যখন ভারত আর নেপালের সম্পর্ক টানাপড়েনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। নেপালের ভেতরেও সমালোচনা নেপালের ভেতরেও অনেকে মনে করছেন, সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে তিক্ত হয়ে ওঠা সম্পর্ক উন্নয়নে তার এই বক্তব্য কোন সহায়তা করবে না। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ তার বক্তব্যকে সমর্থন জানালেও, অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সামাজিক মাধ্যমের নিয়মিত ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে লেখক, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক কর্মীরাও। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টারাজ তার এই বক্তব্যকে ব্যাঙ্গ করে টুইটারে লিখেছেন, 'তাহলে এখন নতুন রামায়ণ শোনা যাক!' সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ নাথ পাণ্ডে টুইটারে লিখেছেন, 'ধর্ম রাজনীতি ও কূটনীতির ঊর্ধ্বে। এটা খুবই আবেগের একটা বিষয়। অবান্তর বক্তব্য শুধুমাত্র হয়রানি তৈরি করতে পারে। অযোধ্যা যদি বীরগঞ্জের কাছেই হয়, তাহলে সরযু নদীটি কোথায়?' এমনকি সিপিএন (মাওয়িস্ট) ডেপুটি চীফ অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স ভিষ্ণু রিজাল টুইটারে লিখেছেন যে, একের পর মি. ওলির এরকম বক্তব্য দেয়া রহস্যজনক। ''যখন আপনি দায়িত্বশীল পদে থাকবেন এবং দায়িত্বহীন ও অর্থহীন কথা বলবেন, এটা তখন দেশেরই ক্ষতি করে। আপনি হয়তো অপ্রমাণিত, প্রাচীন এবং বিতর্কিত বিষয়ে কথা বলাটা বিশাল একটি কাজ মনে করতে পারেন, কিন্তু সেটা ভুল। যখন হাতছাড়া হওয়া ভূমি ফিরিয়ে আনতে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তখন এরকম বক্তব্য সেখানে সমস্যাই তৈরি করতে পারে।'' তিনি টুইটারে লিখেছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিতর্কের পরও সৌদি আরবকে কেন অস্ত্র জুগিয়েই চলেছে ব্রিটেন সরকারি কাজ পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব কতটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধবিমানের নকশায় ভূমিকা রেখেছিল যে কিশোরী বিদেশগামীদের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, কিন্তু স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই | 'অযোধ্যা নেপালে, রাম ছিলেন নেপালি রাজপুত্র'-দাবি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, ক্ষুব্ধ বিজেপি |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | আ স ম আব্দুর রব সে সময় মি: রব অবিভক্ত জাসদের অন্যতম একজন নেতা ছিলেন। এখন তিনি জেএসডি সভাপতি। বিয়াল্লিশ বছর আগের সেই ঘটনা এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যখন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করেছে সরকার। আবেদনটি নাকচ করার কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার বলেছে, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আইনে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ১৯৭৯ সালে আ স ম আব্দুর রবকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ঘটনাকে। আরও পড়তে পারেন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার অনুমতি দেয় নি সরকার 'ক্ষমতার লড়াইয়ে জাসদ হেরেছে, জিয়া জিতে গেছে' খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাল ছাড়ছে না পরিবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার কিন্তু কিভাবে আ স ম আব্দুর রবকে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল, কী ছিল সেই ঘটনা?এ নিয়ে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন মি. রব। তিনি বলেছেন, তার দশ বছরের সাজা বহাল থাকা অবস্থাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। রবের সাজা ছিল যে মামলায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাষ্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার পর নভেম্বর মাসে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টা-অভ্যুত্থান চলে। তখন জাসদের তৎপরতায় একটি অভ্যুত্থান হয় ৭ই নভেম্বর। কিন্তু সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। জেনারেল রহমান ক্ষমতা নেয়ার পর ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল কর্নেল আবু তাহের সহ জাসদের ১৭জন নেতাকে। এই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিলেন আ স ম আব্দুর রব। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ১৯৭৬ এর জুলাই মাসেই সামরিক আদালতের বিচারে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। ৭ই নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর জিয়াউর রহমান । ১৯৭৫এ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত একটি ছবি আর আ স ম আব্দুর রবের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জাসদের অন্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল হয়েছিল। সামরিক আদালতের রায় অনুযায়ী আ স ম আব্দুর রব জেল খাটছিলেন। তিনি কারাগারে ছিলেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই। সাজা মওকুফ না করেই বিদেশ জেল খাটার সময় ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে আ স ম আব্দুর রব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। মি: রব জানিয়েছেন, একপর্যায়ে তার অসুস্থতা গুরুতর হয়, তখন ব্রেইন টিউমার হয়েছে, এমন আশংকা করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, 'অবস্থা গুরুতর হলে আমার সাজা মওকুফ না করেই আমাকে ১৯৭৯ সালের পহেলা মে চিকিৎসার জন্য তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে পাঠানো হয়। তখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন।" "বিদেশে পাঠানোর আগে আমি আমার দাদির কবর জিয়ারত করতে চেয়েছিলাম। তখন কড়া পুলিশী পাহারায় হেলিকপ্টারে করে আমাকে আমার এলাকা লক্ষীপুরের রামগতিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমি দাদির কবর জিয়ারত করার পর আবার আমাকে একই হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ৭৯ এর পহেলা মে তারিখেই পশ্চিম জার্মানি পাঠানো হয়" বলেন আ স ম আব্দুর রব। তিনি আরও বলেছেন, তার পাসপোর্ট তখন সরকার জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করে দিয়েছিল। তাকে বিদেশে পাহারা দেয়ার জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মি: রবের সাথে কোনো পুলিশ সদস্যকে থাকতে দিতে রাজি হয় নি। তখন জিয়া সরকার সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফেরত এনেছিল। আ স ম আব্দুর রব আরও জানিয়েছেন, পশ্চিম জার্মানিতে চিকিৎসাধীন থেকেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে ছয় মাস পর বাংলাদেশ সরকার তার চিকিৎসা খরচ বন্ধ করে দিয়ে তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ফেরত না এসে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশি ও জাসদের নেতা কর্মীদের অর্থ সহায়তায় চিকিৎসা শেষ করেন এবং এক বছর পর ১৯৮০ সালের পহেলা মে ঢাকায় ফেরেন। মি: রব বলেছেন, সাজা মাথায় নিয়ে তাকে পশ্চিম জার্মানি যেতে হয়েছিল। তবে তিনি ফেরত আসার কিছুদিন আগে তার সাথে আরও কয়েকজন জাসদ নেতার সাজা মওকুফ করেছিল জিয়া সরকার। সরকার কি বলছে তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে বলেছেন, আ স ম আব্দুর রবের বিচার হয়েছিল সামরিক আদালতে। ফলে সামরিক শাসনে সময়ের ঘটনাকে উদাহরণ হিসাবে আনা যৌক্তিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: | সাজাভোগের মধ্যেই যেভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন আ স ম রব |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | আগুন লাগার পর ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘর এছাড়া অন্য দেশের বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার প্রত্নতাত্ত্বিক ও মিসরীয় নানা নিদর্শন ছিলো সেখানে। ১৮১৮ সালে রাজকীয় জাদুঘর হিসেবে স্থাপিত জাদুঘরে সব মিলে অন্তত দুই কোটি নিদর্শন সংরক্ষিত ছিল। আগুন নিভে যাবার পর এটি কিভাবে পুনর্গঠন করা হবে, তা নিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান কে? নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন: কী দেখে এলো বিবিসি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসায় আস্থা নেই বিএনপির কারণ ভবনের ভেতরের ফ্লোর ছিল কাঠের, সঙ্গে ছিল বহু ঐতিহাসিক দলিলপত্র, যা ছিল মূলত কাগজের। ফলে কিছু জিনিস একেবারে পুড়ে ছাই হয়েছে, কিছু আগুন আর বাতাসে উড়ে গেছে বহুদূর। সেসব আর কখনো উদ্ধার করা যাবে না এই ভাবনাই ছিল বাস্তব। কিন্তু বাস্তব সব সময়ই কল্পনার চেয়ে অবিশ্বাস্য। রিও ডে জেনিরোর কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকেন শিলা ও ডগলাস আলভারেঞ্জা। এক সকালে তাদের বাড়ির উঠোনে তারা আবিষ্কার করলেন কিছু পোড়া কাগজ। "প্রথমে যেটা পেলাম, সেটা একটা হাজিরা বহি বা অ্যাটেনডান্স শিটের পাতা। ওটা ছিল রিও ডে জেনিরো ফেডেরাল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ যা জাদুঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের হাজিরা বহির পাতা। ঐ পাতাটি ছিল ২০০৯ সালের। এর সঙ্গে ছিল আরেকটি পাতা, আমার বিশ্বাস যেটা ছিল কীট পতঙ্গের বিবর্তন সংক্রান্ত কিছু।" পোড়া কাগজগুলো পেয়ে শিলা ও ডগলাস একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ ওগুলো কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে তারা শুরুতে কিছুতেই একমত হতে পারছিলেন না। "ওগুলোর মধ্যে আরো অনেক রকম কাগজ ছিল, একেবারে পোড়া। হাতে ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে গুড়াগুড়া হয়ে যাচ্ছিল। সেসবের মধ্যে চিঠিপত্রও ছিল, ওগুলোর কাগজ খুব পুরনো ছিল। অবস্থা দেখে আমি টুকরোগুলো কুড়িয়ে প্রথমে একটা তোয়ালের ওপর বসাই। এরপর সেগুলোর ছবি তুলি, আর সবাইকে দেখাই।" এরপর শিলা আর ডগলাস সেগুলো খুব যত্ন করে সংরক্ষণ করেন, যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ এ ধরণের জিনিসপত্র কোথায় জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে কোন ঘোষণা দেয়। পুড়ে যাবার পর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য কর্তৃপক্ষ কয়েকটি অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করেছেন। তাদের বেশির ভাগেরই অবস্থান রিও ডে জেনিরো শহরের আশেপাশে। সেখানে জাদুঘরের কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের নিয়ে আসা ঐতিহাসিক দলিলপত্র পরীক্ষানিরীক্ষা করে জমা রাখছেন। জাদুঘরের ইতিহাসবিদ রেজিনা দান্তাস ছিলেন যে কেন্দ্রে ডগলাস তাদের বাড়িতে পাওয়া জিনিস জমা দিয়েছেন "মানুষজন বিভিন্ন দলিলের টুকরো টুকরো অংশ, অথবা জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন মৃত জীবজন্তুর পোড়া অংশ ফিরিয়ে দিতে আসছে। এটা খুবই আশাপ্রদ যে যে যা পেয়েছে, যত্ন করে সবাই সেটা ফিরিয়ে দিতে আসছে, সবাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে।" রেজিনা বলছিলেন সকাল বেলাতেই এক ফার্মহাউজ থেকে এক ব্যক্তি এসে পুড়ে যাওয়া স্টাফড পোকামাকড়ের দুটি সেট দিয়ে গেছেন। বেরিয়ে আসার সময় ডগলাসের সঙ্গে ঐ ব্যক্তির পরিচয় ও কথাবার্তা হয়। তারা ঠিক করেন, এখানেই শেষ নয়, তারা এখন অন্যদেরও জাদুঘরের জিনিসপত্র পেলে কিভাবে ও কোথায় জমা দিতে হবে, সে নিয়ে প্রচারণা চালাবেন। "আমার তো মনে হয়, যারাই জাদুঘরের ধ্বংসাবশেষ জমা দিতে এসেছেন, তারা সবাই জাদুঘর পুনর্গঠনের অংশ হয়ে যাচ্ছেন। আর যেকোন নাগরিকের জন্য সেটা খুবই সম্মানের বিষয়।" জাদুঘর পুনর্গঠনের কাজ কতদিনে শেষ হবে, আর কতদিনে সেটি আবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে, সেটা এখুনি বলা মুশকিল। তবে, দুশো বছর আগে পর্তুগীজ রাজ পরিবারের বাস্তুভিটায় যে জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছিল, তার নিজের ঐতিহাসিক মূল্যের সঙ্গে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাও এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠেছে। | আগুনে পোড়া ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘর যেভাবে পুনর্গঠন হচ্ছে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ভোটের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ায় বা ইরানের সরাসরি যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ মেলেনি। মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে "বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ" ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোন সরকারের কোন হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। তবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে একে রাশিয়া এবং ইরানের "প্রভাব খাটানোর অভিযান" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট বাইডেন মি. ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন মি. ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে "বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার" কাজ করছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইরানের উপর "সর্বোচ্চ চাপ" প্রয়োগের নীতি অনুসরণ, ক্ষতিকর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিলেন। ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসলেও "অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের" সাথে প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে, ভোটের আগে দেশটি কোন ধরণের "প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়নি।" সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রাশিয়ার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে বলা হয়, "চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাধে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা চায়। আর তাই নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন সেটি প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকির বিপরীতে সুবিধাজনক নয় বলে বিবেচনা করেছে।" প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং চূড়ান্ত ফল- কোনটাই বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হল যখন দেশটির বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যৌথ তদন্তের ফলও একই রকম পাওয়ার কথা জানানো হয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, "রাশিয়া এবং ইরানের প্রচারণা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল যারা কিছু নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপস আপস করেছিল যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করেছিল।" তবে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রভাব বিস্তার করার এসব প্রচেষ্টার সবই ছিল পরোক্ষ। নথিগুলোতে বলা হয়, "ভোট প্রক্রিয়ার কোন কারিগরি বিষয় বদলে ফেলে ভোটার নিবন্ধন, ব্যালটে ভোটদান, ভোট গণনা কিংবা ফল ঘোষণা, কোন বিষয়েই বিদেশী কোন শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন কোন ইঙ্গিত আমাদের কাছে নেই..." গত বছরের অগাস্টে মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি বলেছিল যে, চীন, রাশিয়া এবং ইরান আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। তদন্তে উঠে আসে যে রাশিয়া মি. বাইডেনকে কলঙ্কিত করতে চাইছিল। আর চীন এবং ইরান মি. ট্রাম্পের পরাজয় চেয়েছিল। | ভ্লাদিমির পুতিন: ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচারণায় অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | সেন্ট জর্জ জ্যাপেল গির্জায় রাজকীয় দম্পতি। সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল গির্জায় ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এবং ৬০০ নিমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিতিতে তারা বিয়ের শপথ-বাক্য পাঠ করেন এবং আঙটি বদল করেন। ব্রিটিশ ডিজাইনার ক্লেয়ার ওয়েইট কেলারের তৈরি বিয়ের পোশাক পরে মেগান মার্কল যখন গির্জায় এসে হাজির হন তখন শ্বশুর প্রিন্স চার্লস তার হাত ধরে তাকে বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। বিয়ের পর প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কলের উপাধি হবে ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্স। বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমরিকান টকে-শো হোস্ট ওপরাহ্ উইনফ্রে, অভিনেতা জর্জ ক্লুনি ও তার স্ত্রী আমাল, সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম ও তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া, টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস এবং গায়ক এল্টন জন। এই বিয়ে উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষ উইন্ডসরে হাজির হন। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশনে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেন। যে মুহূর্তে মেগানের ঘোমটা খুললেন প্রিন্স হ্যারি। রানী এলিজাবেথ এবং তার স্বামী এডিনবরার ডিউক বাদে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে প্রিন্স হ্যারির ভাই ডিউক অফ কেমব্রিজ উইলিয়াম, মামা আর্ল স্পেন্সার, ডাচেস অফ ইয়র্ক সারাহ্ ফার্গুসন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সহ কোন রাজনীতিককে এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ এটি কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছিল না। বিবিসির রাজপরিবার সংক্রান্ত সংবাদদাতা জনি ডাইমন্ড বলছেন, যেভাবে পুরো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল, সেই বিবেচনায় এটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের এক রাজকীয় অনুষ্ঠান। অন্যান্য বিয়ের অনুষ্ঠানের যেমনটি আগে দেখা গেছে, এই বিয়েতে বড় বড় কেক তৈরি করা হয়নি। রাজকীয় অনুষ্ঠানে গির্জার মধ্যে এবার গসপেল কয়্যার সামগান পরিবেশন করেছে। উইন্ডসর প্রাসাদে এই প্রথমবারের মতো সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে ১২০০ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে 'পিপলস প্রিন্সেস' অর্থাৎ জনগণের রাজকুমারী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিয়েও জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে বলে জনি ডাইমন্ড বলছেন। মেগান মার্কলের মা ডরিয়া র্যাগল্যান্ডকে বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে। | উইন্ডসর প্রাসাদে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কলের রূপকথার বিয়ে |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | জাতীয় সংসদে ঋণ খেলাপিদের তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই ঋণের একটি বড় অংশ, নির্দিষ্ট করে বললে প্রায় ৪৩ শতাংশ, খেলাপি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সমূহের কাছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণ কেন বছরের পর বছর ধরে আদায় করা হয়না? বিশ্লেষকরা বলছেন অনেক ব্যাংক ঋণ দেয়ার সময় ঝুঁকি পর্যালোচনা ছাড়াই তাদের আমানতের চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে। পাশাপাশি ঋণ গ্রহীতাদের অনেকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী অথবা প্রভাবশালী কারো সহায়তায় ঋণ পেয়েছে, যে কারণে তারা ঋণ ফেরত না দেবার সুযোগ নিয়েছে, বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। "কয়েকটি কারণে ঋণ খেলাপি হয়, একটা হলো পর্যাপ্ত 'সিকিউরিটি' না নেয়া, আরেকটি হলো দুর্বলভাবে সেটাকে মূল্যায়ন করা। আরো একটি কারণ আছে, তা হলো বাইরের চাপে কাজটি করা, এখানে রাজনীতি প্রধান কারণ।" "অর্থাৎ যারা যখন ক্ষমতায় থাকেন, তাদের সমর্থিত লোকজন জোর করে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নিয়ে যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মালিক যেহেতু সরকার, ফলে ঐ ব্যাংকের রাজনৈতিক লোকজন যখন ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেটা সহ্য করার ক্ষমতা থাকেনা। কারণ মালিকের পক্ষ থেকে চাপ আসলে তো কিছু করার নেই।" মিঃ খালেদ বলছেন, নিয়ম ভঙ্গের কারণে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শাস্তি হয় না বলে প্রতি বছর এ ধরণের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বাড়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক হিসাবে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে দুষলেন সু চি ‘সাত মেয়ের পর ছেলে হওয়ার মতো আনন্দ হচ্ছে’ বাংলাদেশেও কেন মেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে? বাংলাদেশ ব্যাংক তার মানে হলো, পুরনো অনাদায়ী ঋণ আদায় তো হচ্ছেই না, বরং নতুন করে দেয়া ঋণও খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এর মানে হলো রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোর কাছ থেকে অনাদায়ী ঋণ আদায়ে কর্তৃপক্ষের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ নেই, যেমনটি বলছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড: ফাহমিদা খাতুন। "কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বই হলো অন্যান্য ব্যাংকে কি ধরণের ব্যবস্থাপনা চলছে, তা মনিটরিং করা। কারণ ব্যাংকগুলোর ভেতরে তা ব্যক্তি খাতের হোক কিংবা রাষ্ট্রীয় মালিকানার হোক, সেখানে অভ্যন্তরীণ সুশাসনের একটি বড় অভাব দেখা দিয়েছে।" "যার কারণে এই ঋণ ফেরত না দেয়া বা জালিয়াতি এমন নানা ধরণের কার্যক্রম ঘটে যাচ্ছে। এসব দেখলে বোঝা যায় ঋণ ফেরত আনার জন্য যে ধরণের ব্যবস্থা দরকার ছিল তা আমরা করতে পারিনি।" কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অনাদায়ী ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানাবিধ পদক্ষেপ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এজন্য নিয়মিত পরিদর্শন এবং মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া হয় "এসব ঋণের সাথে যারা জড়িত এবং যেসব নিয়ম মেনে ঋণ দেবার কথা, তা মানা হয়েছে কিনা তদারক করে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এবং বিভিন্ন সময় তা করাও হচ্ছে।" "এবং যেসব ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য নির্দেশনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।" তবে, সাম্প্রতিক সময়ে কোন ব্যাংকের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণ আদায় করতে ব্যর্থ হবার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন কোন উদাহরণ মিঃ ইসলাম দিতে পারেননি। এদিকে, বুধবার জাতীয় সংসদে দেশের শীর্ষ ১০০ জন ঋণ খেলাপির নামও প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত অর্থবছর শেষে ঋণ দেশে খেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জন। তাদের কাছে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটের ৭৩ শতাংশের সমান। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনালী, জনতা ও অগ্রনীসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকের কাছেই পাওনা ৫৬ হাজার কোটির টাকার বেশি। এদের মধ্যে শীর্ষ খেলাপি সোনালী ব্যাংক। | ‘খেলাপি ঋণ আদায় হয়না রাজনৈতিক কারণে’ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে তিনি জানান। "আমরা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি," সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মি. ট্রাম্প। "(কিছু) ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা করা হবে।" পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কিত ইরানের ঘোষণা আসার পরই এমন কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল ও ইরানকে তেল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছর চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। যার ফলে ইরান আবারো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং তার মুদ্রার মান হ্রাস পায়। "যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়... তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে," বলেছেন মি. ট্রাম্প। "কিন্তু, তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি না তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।" ২০১৬ সালের নির্বাচনী স্লোগানের মত করে তিনি বলেন, "ইরানকে আবার মহান বানান।" এসব কথার পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার টুইট করে দেশটির ওপর 'বাড়তি কঠোর নিষেধাজ্ঞা' জারির ঘোষণা দেন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আরো পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প ইরানে মার্কিন হামলার পরিণতি কী হতে পারে? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? মানচিত্রে ওমান উপসাগর এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কিভাবে ইরানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে? গত বছর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে ইরানের বিশেষ করে জ্বালানী, শিপিং এবং আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশী বিনিয়োগ কমে যায় ও তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশটির সাথে বাণিজ্য থেকে বিরত থাকলেও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। এর ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ঘাটতি দেখা যায়, বিশেষ করে প্রভাব পরে শিশুদের ব্যবহার্য দ্রব্যে। স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় দেশে উৎপাদিত খাদ্যে প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায় মাংস বা ডিমের মতো খাদ্য সামগ্রীর। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন ইরানি বাহিনী আমেরিকান একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে কী হতে পারে এরপর? দুইটি দেশের মধ্যের উত্তেজনা যখন ক্রমশই বাড়ছিল ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি এল। আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশোনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি বলছে, এই ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে 'পরিষ্কার' বার্তা পাঠানো হলো যে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। তবে মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষের দাবি, মানুষবিহীন ঐ উড়োজাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সীমানাতেই ছিল। তারপর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। আইআরজিসি'র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, "৩৫ জনকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান সেসময় ঐ ড্রোনের খুব কাছেই ছিল, যেটিকে আমরা সহজেই গুলি করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করিনি।" মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেসময় বলেছিলেন, তিনি ইরানের সাথে যুদ্ধ চান না, কিন্তু সংঘাত বেধে গেলে, ইরানকে 'নিশ্চিহ্ন' করে দেওয়া হবে। | যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা: তেহরানের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | শোকাতুর পরিবার। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে এসব মরদেহ কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আর্মি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয় মরদেহসমূহ। নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ছাড়াও, এসেছিলেন যাদের মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি, তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় সেখানে তৈরী হয় এক শোকাবহ পরিবেশ। রোববার রাতেই জানা গিয়েছিল পরদিন দুপুরে আসছে স্বজনদের মরদেহ। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছেন বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরা। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর জানিয়ে দিয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে বিকেল চারটায় দ্বিতীয় দফা জানাজা হবার পরই পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে মরদেহ। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা। সে অনুযায়ী দুপুরের পরপরই স্বজনেরা আসতে শুরু করেন আর্মি স্টেডিয়ামে। ঢোকার মুখে ভিআইপি গ্যালারির দুইপাশেই আত্মীয়দের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এরই একপাশে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছিলেন তাহিরা তানভিন শশীর মা। শশীর খালু জানাচ্ছেন, আগামীকাল নাগাদ দাফন হবে পরিবারের আদরের মেয়েটির। "লাশ নেয়ার পর আজ দেরি হয়ে যাবে। রাতে বারডেম বা সিএমএইচ কোথাও হিমঘরে রাখা হবে। পরে কাল মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে," বলছিলেন তিনি। গ্যালারির আরেক পাশে স্তব্ধ হয়ে বসেছিলেন বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার কেবিন ক্রু খাজা হোসেইন মো. শাফেই-এর মা। তার বোন বাসিমা সাইফুল্লাহ বলছিলেন, কাঠমান্ডুতে ভাই এর মরদেহ শনাক্ত করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে। কেউ চুপচাপ বসেছিলেন, কেউ একটু পরপর ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন। আরও দেখুন: আপনার কাটা চুলে কোটি টাকার ব্যবসা নিদাহাস ট্রফি: বাংলাদেশের ফাইনাল হারার ৪ কারণ ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে সবাই কী জানতে চায় "কেউ জানতো না আমার ভাইকে কোন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেটা আমি নিজে খুঁজে বের করেছি। অ্যাম্বেসি থেকে দেয়া তালিকায় দুইবার আমার ভাই এর নাম রিপোর্টেড ডেড হিসেবে দেয়া হইছিল। নিজের চোখে প্রতিটা ডেডবডি দেখছি আমি। একটা যুদ্ধের সাইট থেকে আসছি আমরা।" কেবল নিহত মানুষদের স্বজনেরাই নন, আর্মি স্টেডিয়ামে এসেছিলেন মরদেহ শনাক্ত হয়নি বলে, সোমবার যাদের মরদেহ বাংলাদেশে এসে পৌঁছয়নি এমন পরিবারের সদস্যরাও। মাঠের এক কোনে দাঁড়িয়েছিলেন মোল্লা আলিফুজ্জামানের মা এবং ভাই ইয়াসিন আরাফাত। ভাইয়ের লাশ শনাক্ত হতে কতদিন লাগবে, আর কতদিনে দাফনের ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে উৎকন্ঠিত তাদের পরিবার। "আমার ভাইএর লাশটা তাড়াতাড়ি আনা হোক। গড়িমসি করে, ডিএনএ টেস্টের নামে যেন দেরি করা না হয়, এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া। একবার শুনতেছি এক সপ্তাহ লাগবে, একবার শুনি ২১ দিন লাগবে, একবার শুনি একমাস লাগবে। সিআইডির কাছে শুনলাম পনের থেকে একমাস লাগবে। আমরা কনফার্ম হতে পারছিনা আসলে কতদিন লাগবে।" বিকেল সাড়ে চারটায় যখন একে সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা কফিনগুলো আর্মি স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট মঞ্চে এনে রাখতে শুরু করলেন, স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ তখন হঠাৎ করে ভারী হয়ে ওঠে। পরে জানাজায় শরিক হন বহু মানুষ। স্বজন নন, এমন অনেক মানুষও যোগ দিয়েছিলেন সেই জানাজায়। গত ১২ই মার্চের ঐ দূর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। আহত মেহেদী হাসানকে মাত্র পরশুদিন নিয়ে আসা হয়েছে নেপাল থেকে, ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে গলায় আর হাতে ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থাতেই ভাই আর ভাইয়ের মেয়েকে শেষবারের মত দেখতে এসেছিলেন তিনি। বলছিলেন, "ভাই আর ভাইয়ের মেয়েটাকে একবার, শেষবার চোখের দেখা দেখতে আসছি। জানাজা পড়ে আবার আমি হাসপাতালে ফিরে যাব।" তেইশটি পরিবার, ভিন্ন ভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো থেকে আসা একেকজন। কিন্তু একই বেদনা বুকে চেপে তারা হয়ে গিয়েছিলেন পরস্পরের আত্মীয়। কেউ চুপচাপ বসেছিলেন, কেউ একটু পরপর ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন। এর মধ্যে রকিবুল হাসানের মা কিছুক্ষন পরপরই চিৎকার করে কেঁদে উঠছিলেন আর সংজ্ঞা হারাচ্ছিলেন। | নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: আহাজারি আর দীর্ঘশ্বাসে ভারী আর্মি স্টেডিয়ামের বাতাস |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | সতর্কবার্তা: এই প্রতিবেদনে কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে একগুচ্ছ গর্ত এবং জ্যামিতিক নমুনা দেখানে হয়েছে। যাদের ট্রাইপোফোবিয়ার লক্ষণ আছে তাদের জন্য এটা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। নতুন আইফোনের রয়েছে তিনটা ক্যামেরা কিন্তু ফোনটির পিছনের অংশে তিনটি ক্যামেরা অনেকেই সহ্য করতে পারছেন না। ট্রাইপোফোবিয়া হল একটা ভীতি যেটা কিছু জ্যামিতিক নমুনা বা গুচ্ছ দেখে হতে পারে বিশেষ করে ছোট ছোট গর্তের মত দেখতে এমন কিছু। মঙ্গলবার অ্যাপলের নতুন পণ্যের প্রদর্শন করা হলে সেটা খবরের শিরোনাম হয় এই কারণেই। পদ্ম ফুলের বীজ এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ দেয়া যায় পদ্ম ফুলের বীজ যেখানে এমন ছোট ছোট গর্তের মত আছে অথবা মৌচাকের মত। এসেক্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আর্নল্ড উইলকিন্স এবং জেফ কোল মনে করেন এই ধরণের কিছু দেখে বিকর্ষণ বোধ করা বা ভয়ের সঞ্চার হওয়া একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে। নতুন দুটি আইফোন মডেলে পিছনের অংশে তিনটি গোলাকার ক্যামেরা আছে। প্রকৃতপক্ষে এই ক্যামেরাগুলো আইফোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কারণ আইফোন ১১ প্রো এবং আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স একই সময়ে কয়েকটি ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। প্রো মডেলে রয়েছে টেলিফটো, ওয়াইড এবং আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এছাড়া অন্ধকার, রাতে বা অল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য নাইট মোড রয়েছে। নানা রং এর আইফোন কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এটা দু:স্বপ্নের মত। যাদের ট্রাইপোফোবিয়া আছে তাদের এই গর্ত গুলো দেখে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, বমি বা ঝিমানি ভাব আসতে পারে অনেক সময় শরীরের লোম শিউরে উঠতে পারে। তাই কিছু মানুষ একটা ভালো কারণ মনে করছে নতুন মডেলের আইফোনটি না কেনার একটা অজুহাত হিসেবে। অন্যরা সোশাল নেটওয়ার্কে মন্তব্য করে জানিয়েছে নতুন আইফোনের পিছনের দিকটা যখন দেখেছে তখন তাদের কী মনে হয়েছে। আইফোন প্রো দেখে টুইটারে একজন লিখেছেন "এটার সবই ক্যামেরা"। ২০০৯ সালে একটি ফেসবুক পাতায় এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত একজন ছাত্র প্রথম বিষয়টা উল্লেখ করেন। তিনি অবশ্য আগের মডেলগুলো দেখে হুমকি মনে করেননি। মৌচাকের মত দেখতে কোন কিছু ট্রাপোফোবিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে আইফোন ৮ বা এক্সআর এ মাত্র একটি ক্যামেরা আছে এবং সেটিতে এমন অদ্ভুত প্যাটার্ন ছিল না। যাইহোক আইফোন ১১ প্রো এবং ম্যাক্স ভার্সন তিনটি ক্যামেরা যুক্ত আছে যেটা ট্রাইপোফোবিয়ায় আক্রান্তদের বিরক্ত করছে। এটা পরিষ্কার যে কোম্পানির ডিজাইনাররা যখন এটার নকশা করেন তখন এই বিষয়টা একেবারেই তাদের মাথায় ছিল না যদিও এটাই তাদের প্রধান পণ্য। ছোট ছোট গর্ত দেখার প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে পারে। যখন অনেকগুলো ফোন এক সাথে করে বিভিন্ন রং দেখানোর ছবি তোলা হয় সেটা দেখে প্রতিক্রিয়া তীব্র হওয়া স্বাভাবিক। মি. কোল বিবিসিকে বলেছেন 'আমরা কম বেশি সবাই এটাতে ভুগি (ট্রাইপোফোবিয়ায়) । এর মাত্রা নির্ভর করে আমাদের কতটা আছে"। এটা পরিষ্কার যে এই মুহূর্তে অ্যাপলের নতুন এই পণ্য নিয়ে খবর বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ইয়ার্কি আর মিম হচ্ছে সেটা থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হবে না। | আইফোন ১১: ট্রাপোফোবিয়া কী এবং কেন অনেকে অ্যাপলের নতুন মডেলের আইফোনের দিকে তাকাতে পারছেন না? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | পোতাজিয়া অঞ্চলের দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে দেখলাম নারী-পুরুষ সবাই গরুর দুধ সংগ্রহ কিংবা গরুর সেবাযত্নে কাজ করছেন। তরল দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি গবেষণায় শনাক্ত হওয়ার পর সম্প্রতি ঢাকায় হাইকোর্ট তরল দুধ বিপননের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সুপ্রীম কোর্ট ওই আদেশ আপাতত স্থগিত করেছে। দুধের মান নিয়ে সারাদেশে তুমুল আলোচনা এবং দুধ বিপননে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা গরুর খামারিদের ওপর কী প্রভাব ফেলেছিল, তা দেখতেই মূলত এই গ্রামটিতে আসা। পোতাজিয়া গ্রামে ঢুকেই কথা বলছিলাম একটি গরুর খামারের মালিক ওবায়দুল ইসলামের সাথে। প্রতিদিন তিনি গড়ে ১১৫ লিটার দুধ বিক্রি করেন মিল্কভিটার কাছে। ওবায়দুল ইসলামের খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি গরু আছে। তবে বর্তমানে সাতটি গরু দুধ দিচ্ছে। গ্রামের এই মানুষটি জানালেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর পোতাজিয়ার মানুষের জীবন অনেকটা থমকে যাবার উপক্রম হয়েছিল, কারণ খামারিদের উৎপাদিত দুধ ক্রয় করছিল না কোম্পানিগুলো। রাবেয়া বেগম নাম এক খামারির স্ত্রী বলছিলেন, "আমরা দুধ বেইচাই বাঁচি। আইজ কত বছর গরু পালতিছি। এই দুধ বিক্রিই আমাগের সব। কিস্তি-টিস্তি দেয়া থেইকা শুরু করে সব।" "আমরা দুধ বেইচাই বাঁচি"- বলছিলেন পোতাজিয়ার এক খামারির স্ত্রী রাবেয়া বেগম বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: তরল দুধ আতঙ্ক, কীভাবে সামলাচ্ছেন মায়েরা পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ ১৪টি ব্র্যান্ডের দুধ 'ব্রেস্টফিডিং বিষয়ে চারটি বিষয় যদি আগে জানতাম' রাবেয়া বেগম এবং ওবায়দুল ইসলামের খামারের মতো প্রায় ৮,০০০ খামার আছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়। আর এদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বড় বড় বিপনন কোম্পানি। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দুগ্ধ শিল্পের সাথে এই এলাকার প্রায় এক লক্ষ মানুষ জড়িত। খামারিরা হয়তো মানতে চান না, তবে তাদের কেউ কেউ দুধে কিছু একটা মিশিয়ে জালিয়াতির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই দুধ সংগ্রহকারী কোম্পানিগুলো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছে। তবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক এবং সিসার অস্তিত্ব নির্ণয়ের কোন প্রযুক্তি এখানে নেই। প্রাণ কোম্পানির জন্য দুধ সংগ্রহ করে এমন একটি বিক্রয় কেন্দ্রের পরিচালক রাকিবুল মাহমুদ জানান, কিছু খামারি বেশি লাভের আশায় নানা ধরণের অসদুপায় অবলম্বন করে। বিবিসি বাংলাকে মি: ইসলাম বলেন, "এখানে খামারিরা যখন প্রথমে দুধ নিয়ে আসে, প্রাথমিক অবস্থায় দেখি দুধটা ঠিক আছে কিনা। তারপরে দেখি দুধে পানি মিশাইছে কিনা। অসাধু ব্যবসায়ীরা দুধের মধ্যে পানি দিয়া চিনি মারে। যাতে দুধে পানি মেশাইলেও ধরা না যায়। দুধে ফ্যাট বাড়ানোর জন্য তেল মারে।" বাংলাদেশের অনেক নারীরা খামার করে থাকেন। গরুর খামারিদের অনেকেই মনে করেন, তরল দুধে অ্যান্টিবায়োটিক এবং সিসার অস্তিত্ব পাওয়ার দাবিটি এক ধরণের ষড়যন্ত্র। পোতাজিয়া অঞ্চলে দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি ওয়াজ আলী বলেন, "এটা আমাদের ধারণা, এই যে গুড়া দুধের কোম্পানি, বাহিরের থেকে আমদানি করে, এদের কিছু কারসাজি আছে। আমাদের দুধে তো কোন অ্যান্টিবায়োটিক থাকার কথা না।" হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হলেও তরল দুধ নিয়ে আসলে কী হচ্ছে তা নিয়ে ভোক্তাদের মনে নানা প্রশ্নে রয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, "ট্রাস্ট একবার নষ্ট হলে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে দুধের চাহিদা কমে যাবে। চাহিদা কমে গেলে দাম কমে যাবে। আলটিমেটলি এটার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খামারিদের উপর।" | তরল দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বিতর্ক: কী প্রভাব ফেলেছে সিরাজগঞ্জের দুধের গ্রামগুলোতে - বিবিসি বাংলার সরেজমিন রিপোর্ট |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | দেশটির কর্তৃপক্ষ সেজন্য একটি হটলাইন চালু করেছে। দেশটির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে গোপন তথ্য সংগ্রহ কারীদের যদি কেউ ধরিয়ে দিতে পারে তবে তাকে মেলা টাকার পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ সেজন্য একটি হটলাইন চালু করেছে। যেখানে তথ্য দিয়ে ফোন করা যাবে। গোয়েন্দা সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ৭৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে। তবে পুরস্কারের মাত্রা নির্ভর করবে ধরিয়ে দেয়া গোয়েন্দা আসলে কত বড় মাপের তার ওপর। তবে কেউ যদি শত্রুতার বসত কারো বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবে তাকে পেতে হবে বড় ধরনের শাস্তিও। চীনে বিদেশিদের উপর কিছুটা কড়াকড়ি রয়েছে। সম্প্রতি এমন বার্তাও দেয়া হয়েছে যে কোন গুপ্তচরের সাথে এমনকি প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে তার জন্যেও বিপদে পড়তে হতে পারে। বিদেশি গুপ্তচরদের ধরতে দেশের মানুষজনকে সজাগ হওয়ার জন্য একটি ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে দেশটিতে। | চীনে বিদেশি গুপ্তচর ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক নারী শ্রমিক যান সৌদি আরবে এদের অর্ধেকের বেশি ছুটি কাটাতে দেশে এসে ফিরতে পারেননি। অন্যদিকে, মহামারি পরিস্থিতি ঠিক হবার আগ পর্যন্ত সৌদি আরব নতুন করে আর বিদেশী শ্রমিক নেবে না বলে খবর দিচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম। যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জানানো হয়নি। তবে, যাদের বৈধ পাসপোর্ট এবং আকামা বা কাজের অনুমতিপত্র আছে, তারা যাতে চাকরি না হারায় সেজন্য সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে, বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। জুলেখা আর পারুলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বগুড়ার জুলেখা বেগম গত আট বছর যাবত সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করেছেন। এরপর একটি কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি পেয়েছেন, আর সেখানে যোগদানের আগে হাতে দেড় মাস সময় ছিল, যে কারণে দেশে পরিবারের কাছে এসেছিলেন ফেব্রুয়ারিতে। নিজেকে আক্রান্ত মনে হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন? করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে মার্চের ২৭ তারিখে তার ফিরে যাবার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু সাধারণ ছুটি আর বিমানযাত্রা বাতিলের কারণে আটকে যায় তার ফেরা। "গত তিন মাস ধরে বসে আছি, কবে যাইতে পারবো জানি না। তখন গেলে যে কোম্পানিতে এখন জয়েন করার কথা ছিল, তারা তখন আর আমাকে নেবে কি না তার তো কোন নিশ্চয়তা নাই। আর তারা না নিলে তখন আমার আকামা বাতিল হয়ে যাবে না কি অন্য কোন ব্যবস্থা হবে, বুঝতেছি না।" জুলেখা বলছিলেন, "আমার এজেন্সি বলছিল জুন মাসের শেষে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে, কিন্তু এখনো তো কোন কিছু জানায় নাই তারা।" নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার পারুল আক্তার প্রথমবারের মত সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। আকামা বা কাজের অনুমতিপত্র এবং বৈধ কাগজপত্রসহ সব কিছু নিয়ে তিনি তৈরি, আত্মীয়স্বজনের কাছে বিদায়ও চেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের ২৩ তারিখ থেকে যাত্রীবাহী সব বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। সময়সীমা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৩০শে মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এদিকে, পয়লা জুন থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও পারুল কবে যেতে পারবেন এখনো জানেন না। "এজেন্সি থেকে বলছে, সৌদি আরবের সরকার বলছে করোনা না গেলে আমাদের নিবে না। এখন কবে করোনা যাবে আর আমরা যাইতে পারবো সেটা তো বুঝতেছি না।" সৌদি আরবে যাওয়ার বন্দোবস্ত চূড়ান্ত হবার আগ পর্যন্ত একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন পারুল। এখন বিদেশ গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তিনি বেকার হয়ে পড়েছেন। কী করবেন তা নিয়ে হতাশায় রয়েছেন। জুলেখা বলছেন মেয়ে হলেও তার পরিবার তার উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল, এখন রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ায় পুরো পরিবারই অনিশ্চয়তায় ভুগছে। বাধ্য হয়ে মাস খানেক ধরে এলাকার একটি রেস্তরাঁয় রান্নায় সহায়তাকারীর কাজ নিয়েছেন। কিন্তু দশ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে কাজ করা জুলেখা দেশে কাজ করতে চান না। "এখানে বেতন তো অনেক কম ওখানকার (সৌদি আরব) তুলনায়। সেই জন্য সৌদি আরবে যদি শেষ পর্যন্ত যাইতে না পারি, তাহলে অন্য দেশে যাবো, কাতার বা কুয়েত এ রকম কোন দেশে চলে যাবো।" কত মানুষ আটকে পড়েছেন? বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী এ বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের আগ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দুই লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিক ফেরত এসেছেন। ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচীর প্রধান শরিফুল হাসান বলেছেন, "ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের আগ পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে ৪১ হাজারের মত শ্রমিক ফিরে এসেছেন। পরে চার্টার্ড বিমানে করে দেশে ফিরেছেন ১৩ হাজারের বেশি শ্রমিক, তারও একটি বড় অংশ সৌদি আরব থেকে এসেছে। এর বাইরে তিন মাসে সৌদি আরবে যাবার কথা ছিল এমন শ্রমিকের সংখ্যাও ৫০ হাজারের বেশি।" বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৫০-৬০ হাজারের মত মানুষ প্রতি মাসে বিদেশে কাজ করতে যায়, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি যায় সৌদি আরবে। দেশটিতে জানুয়ারি মাসে গেছেন ৫২ হাজার মানুষ, ফেব্রুয়ারি মাসে গেছেন ৪৪ হাজার মানুষ, আর মার্চে ফ্লাইট বন্ধের আগ পর্যন্ত ৩৮ হাজার লোক গেছে। এই মূহূর্তে সৌদি আরবে ২২ লাখের মত বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন। সরকার কি বলছে? সম্প্রতি সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, মহামারির কারণে এ বছর সৌদি শ্রমবাজারে ১২ লাখ বিদেশী কর্মী চাকরি হারাবেন। রিপোর্টে দেশটির এক গবেষণা সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়, নির্মাণ খাত, পর্যটন (হজ), রেস্তরাঁসহ বিভিন্ন খাতে এই কর্মচ্যুতি ঘটতে পারে। এদিকে, বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলছেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ বা ছাঁটাইয়ের মত কোন ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জানানো হয়নি। বিশ্বজুড়ে লকডাউন এবং অচলাবস্থার কারণে বহুমাত্রিক সংকট দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতে বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোর দায়িত্বে আছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এমন একজন কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সরকার ইতিমধ্যে রিয়াদ এবং জেদ্দায় আলাদা করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যাতে বাংলাদেশি কর্মীরা বিপদে না পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা জেদ্দা ও রিয়াদে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, যাতে যাদের বৈধ পাসপোর্ট এবং আকামা আছে, তাদের চুক্তি যেন বহাল থাকে, যখনই তারা আসার সুযোগ পাক। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা চলছে, যাতে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যায়। তবে, যারা এখন সৌদি আরবে যেতে পারছেন না, তাদের সুরক্ষার জন্য সরকারের এখনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম। তিনি বলেছেন, "যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে তারা যেতে পারছে না, সুতরাং তাদের করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে হবে।একই সঙ্গে যেহেতু তাদের বেশিরভাগই আর্থিক অসুবিধার মুখে রয়েছেন, তাদের সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি। সরকারের উচিত তাদের নগদ অর্থ এবং খাদ্য সাহায্য দিয়ে সহায়তা করা।" যারা যেতে পারছেন না, তাদের করণীয় কী? সৌদি আরবে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে, দেশে থাকা এমন শ্রমিকের এখন কী করণীয় সে বিষয়ে বিবিসি সরকার এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে। তার ভিত্তিতে কিছু পরামর্শ: ১. সবার আগে সুস্থ থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে হবে, শারীরিক সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। সুস্থ না থাকলে সৌদি আরবসহ যেকোন দেশে বিমান ভ্রমণ করা যাবে না, এবং গেলেও চুক্তি বহাল থাকবে না। ২. আতংকিত হবার প্রয়োজন নেই। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ৩. বর্তমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সাথে যোগাযোগ রাখুন, হালনাগাদ তথ্যের দিকে চোখ রাখুন। ৪. নতুন কোন দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। ৫. বিদেশে শ্রমিক হিসেবে নিজের অধিকার সম্পর্কে জানুন। | করোনা ভাইরাস: সৌদি আরবে এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | রেমডেসিভির নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা হয়েছে একই সাথে আজ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ভারতকে ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেয়ার প্রস্তাবের কথা জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের তালিকায় ঔষধের কথা বলা হলেও তাতে সুনির্দিষ্টভাবে রেমডেসিভিরের কথা বলা হয়নি। রেমডেসিভির কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি ঔষধ। বাংলাদেশের আটটি কোম্পানির এ ঔষধ তৈরির অনুমোদন রয়েছে। সম্প্রতি ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে এ ঔষধের প্রচণ্ড চাহিদা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রেমডেসিভিরের পেটেন্ট যাদের, সেই গিলিয়ার্ডের সঙ্গেও সরাসরি ভারত যোগাযোগ রাখছে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রেমডেসিভির ওষুধের প্রচারণা নিয়ে সতর্ক হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের ভারতকে বাদ রেখে চীনের টিকা স্টোরেজ উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্মতি সিরামের কাছ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে যা বললেন বেক্সিমকোর এমডি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা পায়নি বাংলাদেশ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, "বাংলাদেশ বলছে যে আমরা রেমিডিসিভির উৎপাদন করছি। আমাদের কাছ থেকে নিন। কেন তারা বলছে, কারণ তারা অনুভব করছে যে এটাই সহযোগিতার সময়। ভারত আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আমাদেরও তাদের সহযোগিতা করতে হবে"। তার এই ব্রিফিংয়ে টিকার প্রসঙ্গও এসেছে তবে তিনি বাংলাদেশকে সিরাম ইন্সটিটিউটের টিকা দেয়া নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, "বিশ্বে এখন সবাই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। আমরা দিচ্ছি এবং নিচ্ছিও। আপনি যাই উৎপাদন করেন সেখানে একটি সাপ্লাই চেইন থাকে- ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্ষেত্রে কেউ কোন উপাদান সরবরাহ করে আবার আপনি পুরোপুরি তৈরি পণ্য সরবরাহ করলেন। আমার মনে হয় ভ্যাকসিনকেও সেভাবেই দেখতে হবে। আমরা আমাদের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করেছি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ও আছে"। মি. শ্রিংলা বলেন, " এই মুহুর্তে আমাদের প্রয়োজন যে অনেক বেশি, সেটা আমাদের পার্টনার বা অংশীদার দেশগুলোও সবাই উপলব্ধি করছে"। প্রসঙ্গত, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে চুক্তি করে দেড় কোটি ডোজের অগ্রিম টাকা নিলেও সময়মত সব টিকা দিতে পারেনি। জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা তারা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে টিকা কর্মসূচি নিয়ে তীব্র সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা ভারতকে জরুরি ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সহায়তা হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এ সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে দশ হাজার অ্যান্টি ভাইরাল ইনজেকশন, অ্যান্টি ভাইরাল ঔষধ, ৩০ হাজার পিপিই এবং কয়েক হাজার জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্য দরকারি ঔষধ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এই সংকটের সময়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের পাশে আছে বাংলাদেশ এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা দিতে বাংলাদেশ আগ্রহী। | করোনা ভাইরাস: ভারতকে রেমডেসিভির দিতে চাইছে বাংলাদেশ, দিল্লিতে জানালেন শ্রিংলা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | প্রতিদিন অতিরিক্ত মদ্যপানে আয়ু কমতে পারে তারা আরো সতর্ক করে বলছে, যারা সপ্তাহে ১৮ বারের বেশি মদ্যপান করেন তাদের আয়ু চার থেকে পাঁচ বছর কমে যেতে পারে। ২০১৬ সালে ইউকে গাইডলাইন অনুযায়ী এক সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি মদ্যপান করা উচিত না - যা ছয়টি ছোট আকারের ক্যানের বিয়ার অথবা সাত গ্লাস ওয়াইনের সমান। ল্যানসেট এর করা সেই গবেষণা বলছে, যারা হালকা মদ্যপান করেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকির মাত্রা বাড়ার কোন আশঙ্কা তারা দেখেন নি। গাইডলাইন অনুযায়ী হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতি ১২,৫ ইউনিট অ্যালকোহল সেবন করলে নিম্নোক্ত রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১. স্ট্রোক ১৪% ২. মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগ ২৪% ৩. হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া ৯% ৪. মারাত্মক অ্যারোটিক এনিইউরিয়াস ১৫% বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পানি খেলে মদের খোঁয়ারি কাটে না: গবেষণা মদ্যপায়ী হয়েও যেভাবে পাকিস্তানে মদ নিষিদ্ধ করেন ভুট্টো মায়ের পেটে ভ্রূণেরও এ্যালকোহল সিনড্রোম হতে পারে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল রেড ওয়াইন হার্টের জন্য ভালো কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন এই ধারণাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে অ্যালকোহল সেবন করাকে এক সময় সম্পর্কিত বলে মনে করা হতো। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে অন্যান্য ধরণের রোগ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। আগের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, রেড ওয়াইন হার্টের জন্য ভালো - কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধারণাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। অন্য একটি ড্যানিশ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহে তিন থেকে চার বার মদ্যপান করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার স্বল্প মাত্রায় ঝুঁকি রয়েছে। | প্রতিদিন অতিরিক্ত মদ্যপানে আয়ু কমতে পারে, বলছে এক গবেষণা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | সারা দেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্যে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সভা করেছেন। সেখান থেকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। এর আগে এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম যে স্কোর চাওয়া হয়েছে সেটা পেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যেতো। কিন্তু বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের আগে পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু আবেদন করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ এবার থাকছে না। বৈজ্ঞানিক উপায়ে এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যেসব শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকবেন সেটা মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে তাদেরকে জানানো হবে। পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে কোন ফি লাগবে না। আবেদনে টিকে গেলে ৫০০ টাকা ফি পরিশোধ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব ঠিক ততজন শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়েই কেন্দ্র থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে এক লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে বেছে নেয়ার ব্যাপারে ধারণা করা হলেও, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবছে, যেন আবেদনকৃত সব শিক্ষার্থীকেই পরীক্ষার সুযোগ দেয়া যায়। এর মাধ্যমে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ২৩ হাজার আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার যেহেতু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে- তাই তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সবাই তাদের পছন্দ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষায় সবার ভর্তির সুযোগ রয়েছে বলে - জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান। তিনি জানান বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি, কারিগরি, জাতীয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য দেশের বাইরে পড়াশোনা করা। তাই এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হারানো মানে এই নয় যে তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ হারাতে হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শ্যামলী আকবর বলেছেন, জেলা উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের মান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী হয়। যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পর শিক্ষার্থীদের যাচাই বাছাইয়ের মধ্যে যেতে হবে সেগুলো হলো: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে একজন শিক্ষার্থী অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতেন। আবেদনের যোগ্যতা: গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে উত্তীর্ণ এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা এই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি ও এইচএসসি—কোনও পরীক্ষায় জিপিএ-৩-এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না। মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৬ থাকতে হবে। ব্যবসায়ে শিক্ষা বিভাগের জন্য মোট জিপিএ-৬.৫ এবং বিজ্ঞানে মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। এই তিনটি শাখার পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ গ্রুপে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। সেভাবে বিষয়ভিত্তিক আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আবেদনে টিকে যাওয়া শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পাবেন। ভর্তি পরীক্ষায় মান-বণ্টন: এবারে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সব পরীক্ষাকেন্দ্রে একযোগে ১০০ নম্বরের লিখিত ও এমসিকিউ পদ্ধতিতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষার কথা রয়েছে। মানবিক বিভাগের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। এর মধ্যে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ব্যবসায় শিক্ষায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস অর্গানাইজেশন ও ম্যানেজমেন্ট এবং আইসিটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে, হিসাববিজ্ঞানে ২৫ নম্বর, ব্যবসায় গঠন ও ব্যবস্থাপনায় ২৫ , ভাষা (বাংলায় ১৩ ও ইংরেজিতে ১২ নম্বর) ও আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন ছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন এবং আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। ভাষা (বাংলায় ১০ ও ইংরেজিতে ১০ নম্বর), রসায়ন-২০ , পদার্থ বিজ্ঞান -২০ এবং আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের মধ্যে যেকোনো দুটি বিষয়ে মোট ৪০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেকেই পরীক্ষার ভিত্তিতে একটি স্কোর পাবেন এবং ওই ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এছাড়া এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটকে ছাড়াই গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। মেডিকেল কলেজ ও বুয়েটের পরই তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। | বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ন্যূনতম স্কোর থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না সব শিক্ষার্থী |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | আড়ং দেশের জনপ্রিয় লাইফ স্টাইল ব্র্যান্ড পুলিশ ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোন তল্লাশি করে এ ধরণের শতাধিক ভিডিওর সন্ধান পেয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক নারীকে তিনি 'ব্ল্যাকমেইল' করারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। আড়ং এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম বিবিসিকে বলেন, একজন নারী কর্মীর সাথে অসদাচরণের অভিযোগে গত ডিসেম্বরেই ওই কর্মীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছিলো। এরপর চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতে একজন নারী কর্মীকে তার পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও মেসেঞ্জারে দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার পর ওই কর্মী তাদের বিষয়টি জানান। "১৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় অভিযোগ পাওয়ার পর পরদিনই আমরা বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। এবং ১৬ই জানুয়ারি আড়ংয়ের বনানী শাখার ওই নারী কর্মীও থানায় অভিযোগ করেন"। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিম ঘটনাটি তদন্ত করে ২৫শে জানুয়ারি থানায় এজাহার দায়ের করে। এজাহারে বলা হয়েছে, "মেসেজটি ওপেন করে ওই কর্মচারী দেখেন যে একটি ভিডিও প্রেরণ করা হয়েছে যেখানে ওই কর্মচারী বনানী আড়ংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মচারী চেঞ্জ রুমে পোশাক পরিবর্তন করছে। যা তার অজান্তে ধারণকৃত। তখন আইডিটি তাকে ভিডিও কলে শরীর দেখাতে বলে এবং না করলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়"। ২৫শে জানুয়ারিতেই অভিযুক্ত সাবেক আড়ং কর্মচারীকে আটক করে সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট। এজাহারে বলা হয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কর্মচারী জানিয়েছেন যে তিনি আড়ংয়ে কর্মরত থাকার সময় চতুর্থ তলায় কর্মচারীদের পোশাক বদলানোর কামরা সংলগ্ন সানশেডে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোন ও সেলফি স্টিক দিয়ে নারী কর্মচারীদের পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্য ভিডিও করতেন। "ভিডিওগুলো অনেক নারী কর্মীর, যা তিনি গত বছর ডিসেম্বরে চাকরীচ্যুত হওয়ার আগে একই কায়দায় ধারণ ও সংরক্ষণ করেছেন"। এসব কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বনানী থানায় মামলা দায়ের করে সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অতি উজ্জ্বল একটি তারা কি বিস্ফোরিত হবে? অতি উজ্জ্বল একটি তারা কি বিস্ফোরিত হবে? ভারতে আসামকে বিচ্ছিন্ন করতে বলে বিপাকে ছাত্রনেতা আড়ং বাংলাদেশে জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্রান্ড এরই মধ্যে সাইবার সিকিউরিটির ইউনিটের কর্মকর্তারা বনানী আড়ংয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম বলছেন এসব বিষয়ে তারা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেন এবং সে কারণেই তারা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে জানিয়েছেন। "আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করছি। কিন্তু এমন ভাবে চেঞ্জ রুমের ভিডিও নেয়া হয়েছে যা বিস্ময়কর। এটি ভবনের বাইরের দিক থেকে করা হয়েছে"। তিনি বলেন, "অন্য একজন নারী কর্মীর কাছ থেকে তার সাথে সম্পর্ক তৈরির জন্য জোর করার অভিযোগ পাওয়ার পর ডিসেম্বরে ওই কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছিলো"। আড়ংয়ের বিবৃতি আড়ংয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে যেখানে তারা অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলছে, তারা এই অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল আছে এবং অভিযোগকারীকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভ্যন্তরীন তদন্তের পর অভিযুক্তকে চাকুরীচ্যুতও করা হয় বলে জানাচ্ছে আড়ং। এ ব্যাপারে আড়ং পুলিশকেও সর্বাত্মক সহায়তা করছে বলে বিবৃতিতে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যেখানে গোপন ক্যামেরার ভয়ে আতঙ্কিত নারীরা | আড়ং কর্মীর মোবাইলে নারী সহকর্মীদের চেঞ্জিং রুমের শতাধিক ভিডিও, ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | নবাব এবং বস-টু ছবির পোস্টার এই নীতিমালা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা তৈরি স্থগিত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদের সময় 'বস-টু' এবং 'নবাব' নামের দুটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। বাংলাদেশী শিল্পীদের একটি অংশ মনে করে যৌথ প্রযোজনার নামে কলকাতার বাংলা সিনেমাকে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেবার একটি চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং চলচ্চিত্র নায়ক জায়েদ খান বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। 'বস-টু' এবং 'নবাব' সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তির বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। মি. খান মনে করেন, যৌথ প্রযোজনার সিনেমার ক্ষেত্রে দু'দেশের শিল্পী এবং কলাকুশলীদের সমান অংশগ্রহণ থাকলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প লাভবান হবে। তিনি বলেন, "আমরা যৌথ প্রযোজনার সিনেমার বিরুদ্ধে নই। যৌথ সিনেমার নাম ভাঙিয়ে যেন কলকাতার সিনেমাগুলো যেন বাংলাদেশের হল দখল করতে না পারে।" "যৌথ সিনেমার ক্ষেত্রে দু'দেশের মুখ্য শিল্পী সমান সংখ্যক হতে হবে। লোকেশন এবং কলাকুশলীও সমানুপাতিক হারে হতে হবে।" বস-টু ছবির একটি নাচের দৃশ্য আরো দেখুন: আসাম থেকে ধেয়ে আসছে বন্যার জল কেন ভারতে গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হচ্ছেনা? যৌথ প্রযোজনার সাথে সম্পৃক্তরা বলছেন, এ ধরনের সিনেমাগুলো দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র সিনেমা তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। গত তিন বছরে এ প্রতিষ্ঠান যৌথ প্রযোজনার ১২টি সিনেমা তৈরি করেছে। বর্তমানে আরো পাঁচটি এ ধরনের সিনেমা তৈরির কাজ চলছে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমা তৈরি হলে সিনেমা হল মালিকরা খুশি থাকে বলে উল্লেখ করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলিমুল্লা খোকন। তিনি বলেন, হল মালিক এবং কর্মচারীরা তখন বাঁচবে যখন তার হলে দর্শক থাকবে। গত দুই বছরে একমাত্র আয়নাবাজি ছাড়া অন্য কোন দেশি চলচ্চিত্র ২০% পয়সাও উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার ধারণা, যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ হলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে। চলচ্চিত্র সমালোচক এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে এখনো যে স্বল্পসংখ্যক দর্শক আছে তাদের টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের চলচ্চিত্র ভূমিকা রয়েছে। কারণ, নির্মাণ শৈলীর দিক থেকে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তুলনায় এগিয়ে আছে। চলচ্চিত্র সমালোচক-বিশ্লেষক এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জাকির হোসেন রাজু মনে করেন, যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের জন্য নিয়মকানুন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে কলকাতার বাংলা সিনেমা বাংলাদেশের বাজার দখল করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, "শিল্পী সমাজের অনেকেই গোঁড়া থেকেই জানতেন যে পুরো বিষয়টা এক অর্থে প্রতারণামূলক। কিন্তু তারা সবাই সেখানে তখন পার্টিসিপেট করেছেন। কিন্তু যখন তারা দেখছে যে তাদের পার্টিসিপেশনটা আশানুরূপ হচ্ছে না, তখন তারা এ অভিযোগ উত্থাপন করছে।" বিদেশি সিনেমা বন্ধের মাধ্যমে গত চার দশক যাবত বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকে সুরক্ষা দেয়া হলেও সেটি কতটা উন্নতি করতে পেরেছে সে বিষয়টিও ভেবে দেখার সময় হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। | ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে কেন এতো বিতর্ক? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ভাঁজ করা সম্ভব 'ফোল্ডেবল' স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই মন্তব্যের পর থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে স্যামসাং বাঁকানো ফোন সেট বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে। সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিজে কোহ জানান স্যামসাং'এর ভোক্তার চাহিদা বিষয়ক গবেষণা থেকে জানা যায় যে বাঁকানো ফোনের বাজারে চাহিদা রয়েছে। একাধিক ফোন সেট তৈরি কারী প্রতিষ্ঠান নমনীয় স্ক্রিনসহ সেট তৈরি করছে বলে বাজারে গুজব রয়েছে। স্ক্রিনের মাঝখানে কোনো ভাঁজের চিহ্ন ছাড়াই এসব সেটের স্ক্রিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তবে বিবিসি'কে স্যামসাং জানিয়েছে এবিষয়ে এখনো তাঁদের কাছে 'বলার মতো কোনো তথ্য নেই'। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত ৪০ লাখ পাউন্ডের লটারি যেভাবে বদলে দিল মেলিসার জীবন সিএনবিসি'কে ডিজে কোহ বলেন ভাঁজ করতে সক্ষম নমনীয় ফোন তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ 'জটিল' হলেও স্যামসাং এই প্রযুক্তির 'প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ের উন্নয়ন' সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন একটি নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার আগে যন্ত্রটির উদ্দেশ্য ও চাহিদা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা হওয়া প্রয়োজন। মি. কোহ বলেন, "নতুন এই নমনীয় ফোন যদি সাধারণ স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্যগুলোই বিদ্যমান থাকে, তাহলে মানুষ এই নতুন যন্ত্র কেন কিনবে?" তাঁর মতে প্রতিটি যন্ত্র, যন্ত্রের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য, প্রতিটি নতুন আবিষ্কার গ্রাহকের কাছে অর্থবহ হওয়া জরুরি। মোবাইল ফোন সেটের বাজারে চীনের প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে স্যামসাং'এর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অ্যাপলকে টপকে জুলাইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হয়েছে হুয়াওয়ে। | 'ফোল্ডেবল' বা ভাঁজ করা সম্ভব এমন স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে স্যামসাং? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | বিএনপির সমাবেশের একটি অংশ। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার আয়োজিত এক সমাবেশে দলের নেতারা বলেছেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, ভেঙে দিতে হবে বর্তমান সংসদ, এবং তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শেষ দুটো দাবিই ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের সাত দফার দাবির প্রথম দুটো দাবি। মঞ্চে খালেদা জিয়ার চেয়ার প্রায় এক বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করলো বিএনপি। গত বছরের ওই সভায় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি এখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল জানিয়েছেন, রোববারের সমাবেশেও খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল এবং তার জন্যে মঞ্চের উপর রাখা হয়েছিল একটি খালি চেয়ারও। বিএনপির সাত দফা দাবির মধ্যে আরো ছিল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটের দিন বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম চালু না করা। নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ও বিরোধী বিএনপি মধ্যে উত্তেজনা যখন বাড়ছে এবং ছোট ছোট বিভিন্ন দল ও জোটকে সাথে নিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিএনপির এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। জাতীয় ঐক্য সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলে গিয়েছিলেন। এখন সরকারের পতন ঘটাতে সেরকমই একটি ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিএনপির দাবির সাথে একমত হয়ে তারাও এখন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলছেন," বলেন মি. ইসলাম। সমাবেশে দলের যেসব নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন তাতে মূল সূর ছিল আগামী নির্বাচন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতারা যেভাবে 'নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না', বা 'প্রতিহত করা হবে' বলে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন, রোববারের সমাবেশে তাদের মুখ থেকে সেরকম কথা শোনা যায় নি। তবে দলের মধ্যম সারির নেতারা এবিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে পাঁচই জানুয়ারির মতো আরো একটি নির্বাচন তারা প্রতিহত করবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় এক বছর পর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। আরো পড়তে পারেন: প্রেসিডেন্ট কিম ও আমি প্রেমে পড়ে গেছি: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিহতের সংখ্যা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে, রাস্তায় মৃতদেহ 'গ্রামের সবাই বলছে তাদেরকে সাপে কামড়েছে' বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা তারা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা যেমন বলেছেন, তেমনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলে তাদের সরকার কেমন হবে, কিভাবে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তার একটি রূপরেখাও তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় গেলে বিএনপির নেতারা বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলে তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য তৈরি করবেন। এবিষয়ে দলের পক্ষ থেকে ১২ দফা অঙ্গীকার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে: প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় না দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল বলছেন, বিএনপির এই ১২দফা দাবিকে অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহারের মতোই মনে হয়েছে। তিনি জানান, রোববারের এই সমাবেশ থেকে আগামী ৩রা ও ৪ঠা অক্টোবর বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। | ক্ষমতায় গেলে কী করবে বিএনপি: ঢাকায় এক সমাবেশে দলটির ঘোষণা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা বাড়ছে এপ্রিলের ১১ তারিখ ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের এক ম্যাচে এক ওভারের প্রথম চার বলে ৯২ রান হওয়ার ঘটনা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মিডিয়াতেও তোলপাড় তোলে। লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদ প্রতিপক্ষ এক্সিওম ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বল করতে গিয়ে নো-বল এবং ওয়াইড বলের বন্যা বাধিয়ে দেন। চার বলে ওয়াইড করেন ৬৫ বার। রান গিয়ে দাঁড়ায় ৯২। এই কেলেঙ্কারি সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় কয়েকটি মিডিয়াতে আসলে তা নিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লালমাটিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে বোলার এই কাণ্ড করেছেন। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'রক্তাক্ত' হকি: গোলের বন্যা, নাকি সুনামি? ঐ ঘটনার পর জানা যায় আগের দিনও এক ম্যাচে একই কেলেঙ্কারি হয়েছে। ফিয়ার ফাইটার্স নামের এক ক্লাবের বোলার তাসনিম আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে ১ ওভার ১ বলে ওয়াইড আর নো বল করে ৬৯ রান দেন। হৈচৈ হওয়ার পর এক তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) দুই ক্লাব এবং অভিযুক্ত দুই বোলার, কোচ, অধিনায়ক এবং দুই আম্পায়ারের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয়। বোলার সুজন মাহমুদ এবং তাসনিমকে ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লালমাটিয়া ক্লাব এবং ফিয়ার ফাইটার্সকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঐ দুই ক্লাবের ম্যানেজার, কোচ এবং অধিনায়ক নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য। আর বিতর্কিত ঐ দুই ম্যাচের আম্পায়াররা নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ মাসের জন্য। আরও পড়ুন: একাউন্ট হ্যাক করে তথ্য নিতেন 'জঙ্গি' আইটিপ্রধান | ঢাকার ক্রিকেট ম্যাচে চার বলে ৯২ রান দেওয়া বোলার সুজন ও লালমাটিয়া ক্লাব নিষিদ্ধ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট (আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি) বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমরা আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই ফেসবুক এবং গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, এটা সরিয়ে ফেলার জন্য। তারা তাদের ওয়েবপেজ থেকে এটা সরিয়ে ফেলবে। কারণ এটা সরানোর ক্ষমতা বিটিআরসির নেই, এটা তাদেরই সরাতে হবে।'' ''এ ধরণের কন্টেন্ট সরানোর জন্য তাদের কিছু কম্যুনিটি স্ট্যান্ডার্ড আছে। তারা বলে যে, আদালতের নির্দেশ হলে তারা কাজটা করতে পারবে। সেজন্য আদালতের নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে তাদের জানিয়ে দিয়েছি এবং অপসারণের জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।'' তিনি বলছেন। অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই প্রতিবেদনের ভিডিওটি সরানোর ব্যাপারেও বিটিআরসি যোগাযোগ করছে বলে তিনি জানান। প্রতিবেদনের ভিডিও অপসারণে হাইকোর্টের আদেশ এর আগে বুধবার বিকালে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান এবং তার ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আল জাজিরা টেলিভিশন যে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, হাইকোর্ট সেই প্রতিবেদন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম থেকে অবিলম্বে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশনটির এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইস্যুটি বাংলাদেশের আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। হাইকোর্টে একটি রিট মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন বলছেন, দেশে এবং বিদেশে ইন্টারনেট থেকে এই প্রতিবেদনের ভিডিও সরিয়ে ফেলার জন্য হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। এটি সরিয়ে ফেলার জন্য প্রয়োজনে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে, সেটা করার জন্যও আদালত আদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আল জাজিরা সম্প্রতি 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' নামে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে যাতে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের আদেশ চেয়ে ৮ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে আবেদনটি বিবেচনার যোগ্য কি-না তা নির্ধারণে, বুধবার ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। বুধবার আদালত যে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছে, তারা হচ্ছেন এজে মোহাম্মদ আলী, আব্দুল মতিন খসরু, শাহদীন মালিক, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী এবং কামাল উল আলম। আদালতে ওই রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন। রিটে বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার লোগো তথ্যচিত্রটি যেহেতু দশদিন আগে প্রচারিত হয়েছে, তার ফলে এখন নতুন করে স্থগিতাদেশ দেবার আবেদন জনস্বার্থে গ্রহণযোগ্য কিনা, এবং বিদেশী প্রচারমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা কার্যকর করা যাবে কি না এসব বিষয়ে আইনজীবীদের মতামত জানতে চেয়েছে আদালত। পহেলা ফেব্রুয়ারি রাতে আল-জাজিরা 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' শিরোনামে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রচার করে। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতিবেদনটি 'উদ্দেশ্যমূলক' এবং 'ভিত্তিহীন।' আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রচারিত হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সরকার তা খতিয়ে দেখছে। | আল জাজিরার ভিডিও সরাতে গুগল ও ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | রসুন খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, কিন্তু করোনাভাইরাস মরে না। তবে দুর্ভাগ্যবশত: করোনাভাইরাস ঠেকাতে নানা ধরণের স্বাস্থ্য পরামর্শ দেখা যাচ্ছে - যেগুলো প্রায়ই হয় অপ্রয়োজনীয় নয়তো বিপজ্জনক। কিন্তু অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এসব পরামর্শ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কী বলছেন? রসুন: ফেসবুকে এমন অসংখ্য পোস্ট দেখা গেছে যেখানে লেখা: যদি রসুন খাওয়া যায় তাহলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে "যদিও রসুন একটা স্বাস্থ্যকর খাবার এবং এটাতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল আছে" কিন্তু এমন কোন তথ্য প্রমাণ নেই যে রসুন নতুন করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই এধরনের প্রতিকারক ব্যবস্থা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু এর মাধ্যমেও ক্ষতি হতে পারে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে যে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে একজন নারী দেড় কেজি কাঁচা রসুন খেয়েছে। ইরানে কোরানাভাইরাসের 'অষুধ' বিক্রি চলছে। সম্পর্কিত খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত, জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর এতে করে তার গলায় ভয়াবহ প্রদাহ শুরু হয়। পরে ঐ নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। আমরা জানি ফল, সবজি, এবং পানি খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন খাদ্য দিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে, এর পক্ষে কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অলৌকিক সমাধান জরডান সাথের হলেন একজন ইউটিউবার, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তার রয়েছে হাজার হাজার অনুসারী। তিনি দাবি করছেন যে "একটা অলৌকিক খনিজ পদার্থ" যাকে এমএমএস নামে ডাকা হয় সেটা দিয়ে এই করোনাভাইরাস একেবারে দূর করা সম্ভব। এটাতে রয়েছে ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড যেটা একটা ব্লিচিং এজেন্ট। মি. সাথের এবং অন্যরা এই পদার্থকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রচার করে আসছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসে তিনি টুইট করে বলেন "ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড ক্যান্সারের কোষকেও ধ্বংস করতে পারে এবং এটা করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে।" গত বছরে মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রিশন সতর্ক করে বলে যে এমএমএস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষও এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। কলোইডিয়াল সিলভার দিয়ে করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংস অসম্ভব, যেমনটা বলছে এই গবেষণা। এফডিএ বলছে, তারা এমন কোন গবেষণা সম্পর্কে জানে না যে এই পদার্থ নিরাপদ অথবা কোন অসুস্থতার জন্য পথ্য হতে পারে। এফডিএ সতর্ক করে বলেছে এটা পান করার ফলে, মাথাব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, এবং পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ঘরে তৈরি জীবাণুনাশক করোনাভাইরাস ঠেকানোর একটা কার্যকর উপায় হচ্ছে বার বার করে হাত ধোয়া। হাত ধোয়ার জেল, যেটা দিয়ে তাৎক্ষণিক জীবাণু ধ্বংস করা যায়, সেটা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইটালি এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। সে দেশে যখন এই জেল ফুরিয়ে যাওয়ার খবর বের হল তখন এই জেল কীভাবে ঘরে বানানো যায় সেটার রেসিপি দেয়া শুরু হল সোশাল মিডিয়াতে। কিন্তু সেসব রেসিপি ছিল মূলত সেই সব জীবাণুনাশকের - যা ঘরের মেঝে বা টেবিলের উপরিভাগে ব্যবহার করতে হয়। ইতালিতে ঘরে বসে জীবাণুনাশক তৈরির রেসিপি। বলাবাহুল্য, এতে কোন কাজ হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দেন এটা ত্বকের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড জেলগুলোতে ৬০%-৭০% অ্যালকোহল থাকে তার সাথে থাকে এমোলিয়েন্ট নামে এক ধরণের পদার্থ যেটা ত্বককে নরম রাখে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না ঘরে বসে হাতের জন্য উপযুক্ত জীবাণুনাশক তৈরি করা সম্ভব। রূপার জল কলোইডিয়াল সিলভার মূলত এমন জল যেখানে রুপার ক্ষুদ্র কণিকা মেশানো থাকে। মার্কিন টেলি-ইভানজেলিস্ট ধর্মপ্রচারক জিম বেকার এই জল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তার অনুষ্ঠানে এক অতিথি দাবি করেন যে এই জল কয়েক ধরণের করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম। অবশ্য তিনি স্বীকার করেন যে কোভিড-১৯ এর ওপর এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। কলোইডিয়াল সিলভারের সমর্থকরা দাবি করেন যে এটা অ্যান্টিসেপটিক, এবং নানা ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা চলে। করোনাভাইরাস ঠেকানোর অন্যতম কার্যকর পথ হচ্ছে বার বার করে হাত ধোয়। কিন্তু মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, এই ধরনের রূপা ব্যবহার করে স্বাস্থ্যের কোন উপকার হয় না। বরং এর ব্যবহারে কিডনির ক্ষতি হতে পারে ও লোকে জ্ঞান হারাতে পারে। তারা বলে, লোহা এবং জিংক যেমন মানব দেহের জন্য উপকারী, রূপা তেমনটা নয়। ১৫ মিনিট অন্তর জলপান ফেসবুকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে একজন 'জাপানি ডাক্তার'কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের জীবাণু মুখের মধ্যে ঢুকে পড়লেও প্রতি ১৫ মিনিট পর পর পানি খেলে তা দেহ থেকে বের হয়ে যায়। এই পোস্টের একটি আরবি ভার্সন ২৫০,০০০ বার শেয়ার হয়েছে। কিন্তু লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেছেন, এই দাবির পক্ষে সত্যিই কোন প্রমাণ নেই। তাপমাত্রা ও আইসক্রিম পরিহার অনেক দেশের বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ফুরিয়ে গেছে। গরমে এই ভাইরাস মরে যায় বলে সোশাল মিডিয়াতে অনেক ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গরম পানি পান করা, গরম জলে গোসল করা, এমনকি হেয়ারড্রায়ার ব্যবহারেরও সুপারিশ করা হচ্ছে। ইউনিসেফের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনি একটি পোস্ট নানা দেশে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, গরম জলপান করলে এবং রৌদ্রের নীচে দাঁড়ালে করোনাভাইরাসের জীবাণু মরে যাবে। পাশাপাশি আইসক্রিম খেতেও বারণ করা হয়েছে। কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, এটা স্রেফ ভুয়া খবর। ফ্লু ভাইরাস মানব দেহের বাইরে বেঁচে থাকতে পারে না। আর দেহের বাইরে এই জীবাণুকে মেরে ফেলতে হলে ন্যূনতম ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লাগবে, যেটা গোসলের পানি থেকে অনেক বেশি গরম। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: বিতর্কের পর জি কে শামীমের জামিন বাতিল ইতালি ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে কোয়ারেন্টিন করবে | করোনাভাইরাস টিপস: যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুম্বাইতে মুসলিম তরুণদের মিছিল। এপ্রিল, ২০১৯ যেমন দিল্লির জামা মসজিদের শাহী ইমাম, কিংবা ভারতে মুসলিমদের প্রভাবশালী সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড - কেউই এখনও আসন্ন নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি। মুসলিম অ্যাক্টিভিস্ট বিা রাজনীতিবিদরা অনেকেই অবশ্য বিবিসিকে বলছেন, ভারতের মুসলিমরা অন্য কারও কথায় নিজের ভোট স্থির করবেন সেই দিন পেরিয়ে এসেছে - আর তাই ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বক্তব্যেরও তেমন একটা গুরুত্ব নেই। ভারতে বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে জামা মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি, পার্সোনাল ল বোর্ডের নেতা মৌলানা কালবে জাওয়াদের মতো অনেক নেতাকেই বলতে শোনা গেছে, মুসলিমদের কোন্ দলকে ভোট দেওয়া উচিত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারত কি মুসলিমদেরও দেশ নয়? আলোচনায় 'মুল্ক' 'এটাই মোদির নৃশংস নতুন ভারত': রাহুলের টুইট ভারতের মহারাষ্ট্রে পাঠ্যবই থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ দিল্লির জামা মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি পশ্চিমবঙ্গেও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ভোটের মরশুমে বরাবর জানিয়ে এসেছেন তার রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ - এবং এমন উদাহরণ আরও অজস্র। কিন্তু ২০১৯-র সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে দেখা যাচ্ছে এগুলোর প্রাসঙ্গিকতা ক্রমশ কমছে। দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক স্মিতা গুপ্তা বলছিলেন, "বিজেপি যবে থেকে দেশে শক্তিশালী হয়েছে তখন থেকেই মুসলিমরা কিন্তু সচরাচর দেখেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী কোন্ দলের।" "এই মুহূর্তে যেমন আমি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সফর করছি, এখানেও যেমন মুসলিমরা দেখছেন বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা কোন্ কেন্দ্রে কার বেশি - কোথাও সেটা সমাজবাদী-বসপা জোট, কোথাও আবার কংগ্রেস।" দিল্লির উপকন্ঠে গুরগাঁওতে নামাজ পড়ছেন মুসলিমরা "নব্বইয়ের দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন মুসলিমরা বিক্ষোভ দেখাতে কথায় কথায় রাস্তায় নেমে আসতেন। কিন্তু এখন সে সব অতীত, তারাও বুঝে গেছেন ওভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে কোনও লাভ নেই।" আসলে একুশ শতকের ভারতে মুসলিম ভোটাররাও এখন যথারীতি অনেক পরিণত, অনেক আধুনিকমনস্ক। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের তৃণমূল কংগ্রেস এমপি মমতাজ সঙ্ঘমিতা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, তার অভিজ্ঞতা হল ধর্মীয় নেতারা কী বললেন সে সব শুনে কিন্তু মুসলিমরা ভোট দেন না। তার কথায়, "ধর্মীয় নেতারা একরকম গাইড করলেই মুসলিমরা সেখানে গিয়ে ভোট দিত বা দেবে - ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক সেরকম নয়। ইদানীংকালে মনে হয় এই ধারণাটা খানিকটা তৈরি করা হয়েছে।" পশ্চিমবঙ্গের এমপি মমতাজ সঙ্ঘমিতা "যেমন ইস্যুভিত্তিক বিবেচনা করলে আমরা আশা করব মুসলিমদের ভোট বিজেপির বিপক্ষেই যাবে। এটা আমাদের ধারণা ও আশা, সেখানে ধর্মীয় নেতারা কী বলল বা না-বলল তাতে খুব একটা কিছু আসে যায় না। "তবে আমাদের সমাজে সব বিষয়েই তো ধর্মীয় নেতাদের কিছুটা প্রভাব থাকে। কিন্তু ভোটের বিষয়টা অন্য - তা না-হলে যারা ওই জামাত-ফামাত করেন তারা তো জামাতের পক্ষেই ভোট দিতে বলতেন। "কিন্তু সেটা তো আর হয় না, ভোটের বিষয়টা মানুষের রোজকার খাওয়া-পরা, বেঁচে থাকার ইস্যুগুলোর ওপরই নির্ভর করে", বলছেন মমতাজ সঙ্ঘমিতা। ভারতের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে আর একটা খুব প্রচলিত ধারণা হল, মুসলিমরা সচরাচর 'অন ব্লক' বা সমষ্টিগতভাবে ভোট দিয়ে থাকেন। নূরজাহান সাফিয়া নিয়াজ মুম্বাইতে 'ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনে'র নেত্রী নূরজাহান সাফিয়া নিয়াজ আবার বলছিলেন, এই ধারণাটা সব সময় মোটেও ঠিক নয়। তিনি জানাচ্ছেন, "বোম্বেতেই যেমন আমরা দেখেছি স্থানীয় পুরসভার নির্বাচনে মুসলিমরা শিবসেনাকেও ভোটে জিতিয়েছেন - যে দলটি বাবরি মসজিদ ভাঙার পর এই শহরের দাঙ্গার জন্য অনেকাংশে দায়ী ছিল।" "এমন বেশ কিছু আসনে শিবসেনা কর্পোরেটর পেয়েছে, যেখানে অনেক মুসলিম ভোট না-পেলে তাদের জেতা সম্ভবই নয়। "তবে কথা হল, ভারতে মুসলিমদের সামনে এখন অপশনটাই বা কী?" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিভেদ পেরিয়ে: মুসলমানিত্ব নিয়ে সুন্নি-আহমদীয়া বিতর্ক যে নারী স্বামীর গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ফোরজি সেবার নামে যা দেওয়া হচ্ছে তা 'স্রেফ প্রতারণা' বিবিসির সঙ্গে কথা বলছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি "নিশ্চয় এমন একটা সাম্প্রদায়িক দলকে তারা বেছে নেবে না যারা প্রকাশ্যে তাদের আক্রমণ করছে? "কিন্তু কংগ্রেস বা অন্য তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোই বা মুসলিমদের উন্নয়নে কী করেছে? কাজেই কম খারাপটা বেছে নেওয়াই বোধহয় একমাত্র রাস্তা," বলছেন নূরজাহান সাফিয়া নিয়াজ। লক্ষ্যণীয় হল, মিস নিয়াজের কথায় যেটা ''কম খারাপটা বেছে নেওয়া'' - তার জন্য ভারতীয় মুসলিমরা কিন্তু আর ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে নেই। আর হয়তো সে কারণেই শাহী ইমাম বা পার্সোনাল ল বোর্ডের নেতারাও এবারে ভোট নিয়ে মুখ খোলার প্রয়োজন বোধ করছেন না। | ভারতে লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: ভোট নিয়ে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | রাশিয়ার এমন বহু মুসলিম নারী ও শিশুর অপেক্ষায় তাদের পরিবারগুলো। রাশিয়ায় তাদের পরিবারগুলো তাদের সম্পর্কে খবর জানতে মরীয়া এবং ক্রেমলিন এসব শিশুদের ফেরত নিতে চাইছে। তাদের বক্তব্য, এই শিশুরা কোনও অপরাধ করেনি। কিন্তু শিশুদের এবং তাদের মায়েদের খুঁজে বের করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ । ইরাকি কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের কাছে অনেক আইএস পরিবার আটক আছে কিন্তু তাদের নাম তারা প্রকাশ করবে না। তবে বন্দী দশা থেকে সামাজিক মাধ্যমে কারও কারও পাঠানো বার্তা, ছবি, ভিডিও নারী ও শিশুদের আটকের বিষয়ে তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করে। বিবিসির টিম হিইয়েল কয়েক মাস ধরে বিষয়টির অনুসন্ধান করছিলেন এবং তিনি ইরাকেও যান আরও তথ্যের সন্ধানে। আরও পড়তে পারেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বাংলাদেশ রেলওয়েতে কেন ১৪ হাজার পদ খালি? 'আমার শিক্ষক আমাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচিয়েছেন' রাশিয়ার বহু মুসলিম নারী স্বামীর সাথে আইএস বাহিনীতে যোগ দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের চেচনিয়ার একটি বাড়িতে বসে মধ্যবয়স্ক একজন নারী তার মেয়ের ভিডিও দেখাচ্ছিলেন। তার মেয়ের নাম সিয়াদা। ভিডিওতে দেখা যায়, ১৯ বছরের তরুণী সিয়াদার পরনে আঁটসাঁট টি-শার্ট আর জিনস প্যান্ট। তার মা নিজের মেয়ের সম্পর্কে কথা বলার সময় অনেক কষ্টে নিজের কান্না সংবরণের চেষ্টা করছিলেন। "ব্রান্ডের যেকোনো জিনিস সে পছন্দ করতো। ব্যাগ, জামাকাপড়, জুতো, এখনো সেসব এখানেই আছে যেগুলো সে ঘরে ফেলে রেখে চলে যায় । " এসব সিয়াদার স্বামীর সঙ্গে ছুটিতে তুরস্কে বেড়াতে যাওয়ার আগেকার কথা। ২০১৫ সালে স্বামীর সাথে তুরস্কে যাওয়ার পর থেকে সে আর ফিরে আসেনি। তার স্বামী তাকে নিয়ে গেছে ইসলামিক স্টেট-এ যোগ দিতে। তার মা জানান, "দুই সপ্তাহ পরে হোয়াটস আপে তার সাথে যোগাযোগ হয়। অনেকক্ষণ ধরে সে কাঁদতে থাকে। তার কান্না থামছিলই না। এরপর সে বলে , মা আমি সিরিয়াতে। সেই মুহূর্তে আমার পৃথিবী যেন অকস্মাৎ খান খান হয়ে গেল।" তিন বছর হল সেখানে আইএস পরাজিত হয়েছে । সিয়াদার স্বামী ও অন্যান্য আইএস যোদ্ধারা নিহত হয়েছে। কিন্তু সিয়াদা কোথায়? কোনও খোজ নেই সিয়াদার এবং তার দুই সন্তানের। মধ্যপ্রাচ্যে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বহু রুশ নারীর একজন সিয়াদা। আরেকজন মেয়ে রুশানা। সে ইরাকের কোনও একটি জায়গা থেকে মস্কোতে তার বোনের কাছে একটি বার্তা পাঠায়। আইএস বাহিনীতে যোগ দেয়া অনেকেই ইরাকি বাহিনীর হাতে আটক আছে অডিও বার্তায় সে ফিসফিস করে বলে, ''কেন তারা আমাদেরকে বন্দী হিসেবে আটকে রেখেছে? আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিনা। এখানে ভীষণ ঠাণ্ডা। তারা এমনকি আমাদের কম্বলও দিচ্ছেনা।'' রুশানা এই বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন তাকে যে রক্ষী পাহারা দেয় তার দয়ার কারণে। কারণ তার এবং আটক অন্যান্য মেয়েদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। রুশানা জানান, এই দুশো নারী ও শিশুকে দুটি কক্ষের ভেতর গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ইরানের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে ইরাকী অপহরণকারীরা। ''তারা আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিছু ইরানি লোক আসে এবং আমাদের ভিডিও করে নিয়ে গেছে। আর কেবল সেই সময়টুকুই প্রথমবার আমাদের বাইরে নেয়া হয়েছিল। আসলে তারা কোথায় আছে এবং কারা তাদের আটকে রেখেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। ইরাক ও সিরিয়ায় শতাধিক শিশু আর নারী ইরাকে পরাজিত আইএস যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ছিল, যাদের এখন কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এইসব শিশুদের ছবি নিয়ে পোস্টার তৈরি করছে একটি গ্রুপ যারা আইএস পরিবার গুলোকে ফিরে আনার জন্য ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোযনিতে। তারা রাশিয়ার দুহাজার নারীও শিশুর কথা বলছে যারা নিখোঁজ রয়েছে। ইরাকের কর্তৃপক্ষ আটক হওয়া কিংবা নিহত হয়েছে এমন কোনও আইএস পরিবারের নাম জানায়নি। তবে প্রতিবেদক পরবর্তীতে ইরাকি কমান্ডার আবু জাফর যিনি প্রভাবশালী একজন শিয়া যোদ্ধা তার সাথে কথা বলতে সক্ষম হন এবং প্রচণ্ড শীতে এইসব নারীদের আটকে রাখার বিষয়ে, শিশুদের নিউমোনিয়া সংক্রমণ এইসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে তা অস্বীকার করেন ওই ইরাকি কমান্ডার । তবে পরিবারের প্রিয় মানুষদের এভাবে হারিয়ে যাওয়া মানতে পারছে না সিয়াদার মায়ের মতো অনেক মানুষ। প্রকৃতপক্ষে ইরাকি জেলখানায় প্রবেশ প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। সেখানে কোন আইএস বন্দীরা আছেন কিনা তাও জানা নেই। এইসব পরিবারের অভিভাবকরাও জানেন না- তাদের প্রিয়জন বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন ? কবে তারা ফিরে আসবেন নাকি আদৌ কোনদিন ফিরবেন না? | রাশিয়ার নিখোঁজ জিহাদী নারীদের ঘিরে রহস্য |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, মৃত্যু ও রগ কাটার মতো মিথ্যা তথ্য প্রচার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যারা সহিংস করে তুলেছে তাদেরকে খুঁজে বের করার কাজ চলছে। পুলিশ বলছে, এজন্যে তারা প্রাথমিকভাবে ফেসবুকের দুশোটির মতো অ্যাকাউন্টকে সন্দেহ করেছিলেন। কিন্তু গত দু'দিনের তদন্তের পর এখন এই সংখ্যা এখন প্রায় ৩০টিতে নেমে এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে তারা এখন উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারী ও গুজব রটনাকারীদের খুঁজে বের করবেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক পেইজ, ফেসবুকে ও টুইটারে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং কিছু অনলাইন পোর্টাল। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে কারও নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। এর সাথে বিভিন্ন ফেসবুক আইডির নাম ও পোস্টও যুক্ত করা হয়েছে। আরো পড়ুন: সিরিয়ায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে? কেমন ছিল সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর বাংলাদেশ থেকে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবার ফিরিয়ে নিল মিয়ানমার সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধানে নাসার নতুন মিশন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, "সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দেওয়া একটি গণতান্ত্রিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক যখন মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ফেসবুকের অপব্যবহার করে সহিংসতায় প্ররোচনা দেয় তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।" সোশাল মিডিয়ায় যেসব কনটেন্ট শেয়ার হচ্ছে, আপলোড করা হচ্ছে কিম্বা সেখানে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলোর উপর নজর রাখার জন্যে এই ইউনিটের রয়েছে বিশেষ একটি বিভাগ। এই বিভাগের কর্মকর্তারা এরকম দুটো ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, পুলিশের গুলিতে আবু বকর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু এবং আন্দোলনের বিরোধিতা করায় এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে এরকম মিথ্যা খবর রটিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সহিংস করে তোলা হয়েছিলো। "আবু বকরের মৃত্যু হয়েছে বলে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে কিন্তু এই খবরের কোন সত্যতা নেই। তিনি শুধু তার চোখের কোণে সামান্য আঘাত পেয়েছেন," বলেন মি. ইসলাম। তিনি বলেন, "এছাড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলায় একজন ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই খবরেরও কোন ভিত্তি নেই। "যার পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে রটানো হয়েছে, সেই ছাত্রীই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, রাগ উঠে যাওয়ায় তিনি লাথি মেরেছিলেন এবং তখন তার পা কেটে যায়," বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিও পুলিশ বলছে, আবু বকরের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর পরেই আন্দোলনকারীরা সহিংস হয়ে উঠে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ঢুকে সেখানে ভাঙচুর চালায়। নাজমুল ইসলাম বলেন, "এসব মিথ্যা খবর রটিয়ে যারা হিংসাত্মক কার্যকলাপে প্ররোচনা যুগিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করারই কাজ চলছে।" তিনি জানান, গুজব রটানোর অভিযোগে প্রথমে তারা ফেসবুকের দু'শোটির মতো অ্যাকাউন্টকে সন্দেহ করেছিলেন। সেসব প্রোফাইল তারা খতিয়ে দেখেছেন। দেখার চেষ্টা করেছেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কারা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মিথ্যা সংবাদ রটিয়েছে। এখন এই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ৩০টির মতো। "আমরা এখন এই আইডিগুলো নিয়ে কাজ করছি। এসবের পেছনে আসলেই যারা আছে তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে," বলেছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম। ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালানোর কথা স্বীকার বার্মার কিন্তু ফেসবুকে তো বহু মানুষ এসব ভিডিও ও খবর শেয়ার করেছে, যাদের অনেকেই না বুঝে সেটা করেছেন, তাদের মধ্য থেকে কিভাবে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হবে - এই প্রশ্নের জবাবে মি. ইসলাম বলেন, "অনেকেই শেয়ার করেছেন স্বাভাবিকভাবে যেরকমটা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা করে থাকেন। কিন্তু যারা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজটা করেছে তাদেরকে আমরা খুঁজছি। এসব ভিডিও বা খবর যারা প্রথম দিয়েছে অর্থাৎ এসবের উৎস খুঁজে বের করে তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।" পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কাজটি তাদেরকে অনেক সতর্কতার সাথে করতে হচ্ছে। কারণ ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একজন আরেকজনের নাম ব্যবহার করেও এটা করতে পারেন। সেকারণে এর পেছনের প্রকৃত লোকগুলোকেই তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। | বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় ফেসবুকে গুজব রটনাকারীদের খুঁজছে পুলিশ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ইমরান খান ইমরান খান আরো বলেন, কাশ্মীর সংকট নিষ্পত্তি করার জন্য 'হয়তো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই ভাল হবে।' বিবিসির জন সিম্পসনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যে মতভেদ তা শুধু সংলাপের মাধ্যমেই মীমাংসা হতে পারে। 'ভারতের নির্বাচনে মোদী জিতলেই ভালো' এমন সময় ইমরান খান এ সাক্ষাতকার দিলেন যখন ১১ই মে থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। এর আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জৈশ-ই-মোহাম্মদের এক আক্রমণের পর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। ভারত পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালিয়ে জঙ্গী ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে, অন্য দিকে পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। ইমরান খান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা পাবার জন্যই পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছিলেন। তবে মি. খান আরো যোগ করেন যে কাশ্মীর সংকট নিষ্পত্তি করার জন্য হয়তো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই 'ভাল হবে,' কারণ মি. মোদী ভারতের দক্ষিণপন্থী হিন্দুদের সমর্থন পাবেন। "সম্ভবত দক্ষিণপন্থী দল বিজেপি জিতলে কাশ্মীরে কিছু একটা সমাধানে পৌঁছানো যেতে পারে"- রয়টারকে দেয়া আরেক সাক্ষাতকারে বলেন তিনি। ইমরান খান তিনি বলেন, অন্য কোন পার্টি জিতলে তারা হয়তো পাকিস্তানের সাথে আলোচনা করতে গেলে হিন্দু 'ব্যাকল্যাশের' ভয়ে থাকবে। ভারতে প্রতিক্রিয়া কিন্তু 'নরেন্দ্র মোদির দক্ষিণপন্থী বিজেপি দল নির্বাচনে জিতলে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সুবিধা হবে' - ইমরান খানের মুখে এমন কথা শোনার পর ভারতে রাজনীতিকদের মধ্যে একটা আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের রাজনীতিবিদদের কিছৃ মন্তব্য ভারতের সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এনডিটিভির খবরে বলা হচ্ছে যে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকজন নেতা এ নিয়ে মি. মোদীর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের একজন মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করেছেন, তার ভাষায় 'মোদীজীই যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের আসল বন্ধু' তা পরিষ্কার হয়ে গেছে ইমরানের মন্তব্যে। পুলওয়ামায় জৈশ-ই-মোহাম্মদের আক্রমণের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য ইমরান খানের বার্তা কী? এ প্রশ্ন করা হলে মি. খান বলেন, "কাশ্মীর ইস্যু নিষ্পত্তি করতেই হবে এবং তা যেভাবে 'টগবগ করে ফুটছে' - তা চলতে দেয়া যায় না।" ইমরান খান বলেন, "দুটি দেশেরই সরকারের প্রধান কাজ দারিদ্র্য কমিয়ে আনা, যার পথ হলো সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি। আর বিরোধ একটাই - তা হলো কাশ্মীর।" তিনি বলেন, "ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তাহলে পাকিস্তানের পাল্টা জবাব দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তখন পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। আমার মনে হয় পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের ক্ষেত্রে এটা হবে একটা দায়িত্বহীন ব্যাপার।" 'জৈশ-ই-মোহাম্মদের মত সংগঠনগুলো ভেঙে দেয়া শুরু হয়েছে' বিবিসির জন সিম্পসন প্রশ্ন করেন, "ভারত তো বলতে পারে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ট করছে না" জবাবে ইমরান বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই সংগঠনগুলো ভেঙে দিতে শুরু করেছি। জৈশ সহ এসব সংগঠনগুলোর মাদ্রাসা বা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা অধিগ্রহণ করেছি। সামরিক গ্রুপগুলোকে নিরস্ত্র করার জন্য এই প্রথম 'সিরিয়াস' প্রয়াস নেয়া হচ্ছে। আপনার কি এ কাজ সম্পূর্ণ করার ইচ্ছে আছে? প্রশ্ন করেন জন সিম্পসন। "জন, আমাদের সেই ইচ্ছে আছে, এবং তা পাকিস্তানের ভবিষ্যতের স্বার্থে" - বলেন ইমরান। পাকিস্তানের হাতে ভূপাতিত ভারতী বিমানের ধ্বংসাবশেষ বিবিসি বাংলায় আরও খবর: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? ভারতের প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, "ভারত একসময় একটা উদার সমাজ ছিল। ভারতে এখন যা হচ্ছে, তা আমি কখনো দেখবো বলে ভাবি নি।" 'সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সক্রিয় হতে দেবো না' বিবিসির পাশাপাশি বার্তা সংস্থা রয়টার ও মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইমরান খান। তাতে তিনি বলেন, পাকিস্তান আর সেদেশের ভেতরে সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে দেবে না। মি. খান বলেন, "বাইরের চাপের কথা ভুলে যান। আমাদের দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সশস্ত্র মিলিশিয়াদের আর কাজ করতে দেবো না। ১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, "পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু এসব গ্রুপের এখন আর কোন প্রয়োজন নেই।" মি. খানকে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তানকে কে নিয়ন্ত্রণ করে- তিনি, না পাকিস্তানের সামরিক এস্টাব্লিশমেন্ট? জবাবে ইমরান খান বলেন, তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'আসিয়া বিবি কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তান ছাড়বেন' পাকিস্তানে আসিয়া বিবি নামে যে খ্রীষ্টান নারী ধর্মদ্রোহিতার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন, এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যে সাজা খারিজ হয়ে যায় - ওই ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলেন ইমরান খান। আসিয়া বিবি এখনো পাকিস্তানেই গোপন আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। ইমরান খান বলেন, আসিয়া বিবি খুব শিগগীরই পাকিস্তান ত্যাগ করবেন। "এখানে একটু জটিলতা আছে, এবং আমি এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে পারি না। কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আসিয়া বিবি নিরাপদে আছেন, এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশত্যাগ করবেন" - বলেন তিনি। বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চেয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা দিল গ্রিন লাইন যেভাবে চরমপন্থায় রূপ নিল উগ্র বাম আন্দোলন 'মাসুদ রানা' হতে গিয়ে বন্ধুর হাতে খুন স্কুল-মাদ্রাসায় ছাত্রীদের নিরাপত্তা: কী করা দরকার? প্যারোল ও জামিনের মধ্যে পার্থক্য কী? | ভারতের নির্বাচনে মোদী জিতলে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে 'সুবিধা হতে পারে', বলছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ঢাকার আকাশে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে ঢাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিনোদনের জন্যে বা ছবি ধারণের জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন ড্রোন উড়িয়ে থাকেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমোদন না নিয়ে ড্রোন ওড়ানোর ফলে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনমনে ভীতির সঞ্চার হতে পারে। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি আসলে আগেই নেয়া হয়েছিল। এটি এখন তারা সবাইকে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন মাত্র। আকাশ থেকে ছবি তোলার কাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে "কিছু প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নানা ধরণের বিনোদন কার্যক্রমের জন্য হোক বা ছবি ধারণ করার জন্য হোক, বা অন্য কোন অজ্ঞাত কারণে ড্রোন উড়িয়েছেন। এটি আমাদের নজরে এসেছে। সেজন্যেই আমরা জননিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি।" ঠিক কী ধরণের আশংকা থেকে তারা ড্রোন নিষিদ্ধ করলেন, জানতে চাইলে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ক্ষতিকর কার্যক্রম চালানো হয়েছে। অপরাধীরা এটির সুযোগ নিতে পারেন। তিনি বলেন, "বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে বা সংরক্ষিত এলাকায় ড্রোন এসে পড়েছে, এরকম দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যদিও এসব ঘটনার তদন্তে বড় কোন অপরাধমূলক কাজের উদ্দেশ্য ছিল বলে দেখা যায়নি। তারপরও আশংকা থেকে যায়।" ড্রোন ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য বাংলাদেশে মূলত ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির কাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে। আরও পড়ুন: আর্কটিক সাগরে কী পরীক্ষা চালাচ্ছিল রাশিয়া প্রিয়াংকা চোপড়াকে 'ভন্ড' বললেন পাকিস্তানি নারী বানোয়াট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চিনবেন কীভাবে? | ঢাকায় অনুমতি ছাড়া ড্রোন ওড়ানো কেন নিষিদ্ধ করা হলো |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | এই মহামারির সময় বিবিসি এধরনের কয়েকশ ভুয়া তথ্য তদন্ত করেছে। এর থেকে বিবিসির একটা ধারণা জন্মেছে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যের হোতা কারা- আর কেনই বা তারা এগুলো করছে। সাত ধরনের মানুষ আছে যারা এসব মিথ্যা খবর শুরু করে এবং ছড়ায়। রসিক বা ভাঁড় লন্ডনের মানুষকে খাওয়ানোর জন্য শহরের বিশাল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সরকার বিপুল পরিমাণে রান্নার আয়োজন করেছে, হোয়াটসঅ্যাপে সরকারি বার্তা বলে এমন একটা ভয়েস মেসেজ পেলে সেটা কি আসলে বিশ্বাস করা উচিত? কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা তা বিশ্বাস করেন। এটা ব্যঙ্গ না রসিকতা না কি ভাঁড়ামো, তা তারা ধরতে পারেন না- বিশেষ করে এই কঠিন সময়ে। আরেকটি উদাহরণ- রসিকতা করতে সরকারের নামে এমনই একটি ভুয়া বার্তা তৈরি করেছিল এক ব্যক্তি। বিভিন্ন লোকের কাছে সেই মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়েছিল - আপনি বাসা থেকে খুব বেশি বেশি বের হয়েছেন। ফলে আপনাকে জরিমানা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি মনে করেছিল যারা লকডাউন বিধি মানছে না এতে তারা ভয়ে পেয়ে ঘরে থাকবে। ওই ব্যক্তি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার অনুসারীদের মেসেজটি শেয়ার করারও পরামর্শ দিয়েছিল। মেসেজটি খুবই সিরিয়াসলি নেয় কিছু মানুষ এবং একসময় ওই এলাকার উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা তাদের ফেসবুক গ্রুপে সেটি পোস্ট করে। "আমি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইনি," ওই ব্যক্তি জানায়। তার আসল নাম সে কোথাও প্রকাশ করেনি। তবে মেসেজ যারা সত্যি হিসাবে নিয়েছে দোষটা তাদের ঘাড়েই চাপিয়ে সে লিখেছে: "সামাজিক মাধ্যমে সব স্ক্রিনশট কি বিশ্বাস করতে হবে? ইন্টারনেটে তথ্য কীভাবে যাচাই বাছাই করতে হয় তা আসলে বুঝতে শিখুন।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনে হচ্ছে না, ইমিউনিটি এখন বাংলাদেশের একমাত্র পথ: বিশেষজ্ঞ কী কারণে নমুনা সংগ্রহের কাজ হারালো আইইডিসিআর? সীমান্তবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকা ভারসাম্যহীন নারী বাংলাদেশি প্রতারক আরেকদল মানুষ আছে যারা এই মহামারির মওকায় কিছু অর্থ কামাতে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের নাম দিয়ে ভুয়া টেক্সট ছড়াচ্ছে। এরকম একটি প্রতারণামূলক টেক্সট ছড়ানো হয় মার্চ মাসে। দাবি করা হয় সরকার ত্রাণ বাবদ মানুষকে অর্থসাহায্য দেবে। তাই মানুষকে তাদের ব্যাংকের বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়। এই টেক্সট বার্তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকে। কিন্তু যেহেতু এটি টেক্সটের মাধ্যমে ছড়ানো হয়, তাই এর হোতা কে তা খুঁজে বার করা কঠিন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেবার চেষ্টা করছে কিছু প্রতারক। ইমেলের মাধ্যেমেও ভুয়া খবর দিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। যেমন "করোনাভাইরাসের চিকিৎসা বিষয়ে জানতে ক্লিক করুন" বা "এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আপনি কর ফেরত পাবেন"। রাজনীতিক শুধু ইন্টারনেট জগতের অজানা ও গুপ্ত অপরাধীদের কাছ থেকেই যে এধরনের ভুয়া খবর আসছে তাই নয়। গত সপ্তাহে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন করোনাভাইরাসের রোগীর শরীরে অতি-বেগুনি রশ্মি দিয়ে বা ব্লিচ জাতীয় জীবাণুনাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে সারিয়ে তোলা সম্ভব কি না। এটা ছিল পুরো একটা জল্পনা এবং প্রকৃত তথ্যকে আমলে না নিয়ে করা মন্তব্য। পরে অবশ্য তিনি বলেছিলেন ব্যঙ্গ করে একথা তিনি বলেন। কিন্তু তার ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে বহু মানুষ হটলাইনে ফোন করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যাবে কি না তা জানতে চান। শুধু আমেরিকার প্রেসিডেন্টই নন, চীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন যে কোভিড নাইনটিন উহানে নিয়ে এসেছে আমেরিকান সেনাবাহিনী। রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এবং ক্রেমলিনপন্থী টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদী এই ভাইরাস নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে তার সুযোগ নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানাধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। ব্রিটেনে ভ্যাকসিন গবেষণার ট্রায়ালে অংশ নেয়া প্রথম ভলান্টিয়ার মারা গেছেন এমন একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেন ভ্যাকসিন বিরোধী ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভাবক বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপ। খবরটি অবশ্যই ছিল ভুয়া। করোনাভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে ফাইভ-জি-র যোগাযোগ রয়েছে বলে ইউটিউবে পোস্ট করা ডেভিড আইক নামে একজনের সাক্ষাৎকার ফাইভ জি নিয়ে ভুয়া খবরটির জন্ম দিয়েছিল। সাক্ষাৎকারটি পরে সরিয়ে নেয়া হয়। মি. আইক পরে লন্ডনের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আসেন। ব্রিটেনের সম্প্রচার মান ভঙ্গ করার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয় ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে। তার ফেসবুক পেজ পরে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফেসবুক জানায় "তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য ক্ষতিকর" এই কারণ দেখিয়ে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই ভুয়া খবরের জের ধরে ব্রিটেনে ফাইভ-জি ফোনের সিগনাল মাস্তুলের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চলানো হয়। ভেতরের লোক অনেক সময় ভুল খবর আসে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও। যেমন চিকিৎসক, অধ্যাপক, বা হাসপাতাল কর্মী। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই "ভেতরের লোকরা" গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। যেমন একটি খবর ছড়ান ইংল্যান্ডের এক নারী। খুবই ত্রস্ত কণ্ঠে রেকর্ড করা ওই বার্তায় তরুণ ও সুস্থ করোনা রোগীদের মধ্যে ভয়াবহ মৃত্যুর হার সম্পর্কে তিনি আশংকাজনক পূর্বাভাষ দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই নারী বলেন তিনি অ্যম্বুলেন্সে কাজ করেন এবং কাজের সূত্রে ভেতরের খবর তিনি জানেন। মন্তব্য করার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি উত্তর দেননি। তিনি যে আসলেই স্বাস্থ্যকর্মী তার পক্ষে কোন প্রমাণ দেবার অনুরোধেও সাড়া দেননি। বিবিসি অনুসন্ধানে জেনেছে তার দাবি অসত্য। আত্মীয়স্বজন সাধারণত উৎকণ্ঠিত গলায় রেকর্ড করা বার্তা বা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে লেখা মেসেজ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তারা এইসব মেসেজ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে। অনেককেই ফেসবুকে এধরনের মেসেজ দিয়ে লিখতে দেখা গেছে "যদি সত্যি হয়ে থাকে"। এক নারী বলেছেন, "প্রথমে মনে হয়েছিল এটা ঠিক কি না। কিন্তু আমার আর বোনের একেবারে ছোট বাচ্চা আছে। আমার একটু বড় বয়সের বাচ্চাও আছে। আমাদের বাসায় ঝুঁকির অনেক কারণ আছে।" এরা ভাবেন অন্যদের সাহায্য করছেন তথ্য দিয়ে। কিন্তু তারা অবশ্যই জানেন না যেসব মেসেজ তারা শেয়ার করছেন তা সঠিক নয়। তারকা ও ব্যক্তিত্ব শুধু আপনার চাচা চাচী বা পরিবারের অন্য ঘনিষ্ঠজনই নন, সামাজিক মাধ্যমের মূলধারায় ভুয়া খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অনেকসময় থাকেন তারকা বা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। বেশ কিছু খবর এভাবে ছড়ানোর পেছনে গায়ক, অভিনেতারাও আছেন। রয়টার্স ইনস্টিটিউট তাদের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখেছে সামাজিক মাধ্যমে তারকাদের অনুসারীর সংখ্যা যেহেতু অনেক, তাই তাদের পোস্ট থেকে আসা খবর খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। মানুষ সেগুলো বিশ্বাসও করে। শুধু সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম নয়, টেলিভিশনেও অনেক সময় মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মতামত, মন্তব্য মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং তা ছড়িয়ে দেয় সামাজিক মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের বিস্তারের সঙ্গে ফাইভ জি-র যোগাযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ভিত্তি রয়েছে বলে ব্রিটেনের এক পরিচিত সাংবাদিকের মন্তব্য এধরনের বিভ্রান্তিমূলক খবরে ইন্ধন জুগিয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন তার মন্তব্য 'অবিবেচকের মত' ছিল। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় | করোনাভাইরাস: যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য শুরু করে এবং তা ছড়ায় |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ল্যান্ডিং করার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয় বিমানটি তবে এই প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতে খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর উত্তরায় থাকেন অলিউল ইসলাম ও হুসনা বানু দম্পতি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দুই সন্তানসহ নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। টিকেট বুকিংসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন। আরো পড়ুন: দীর্ঘশ্বাসে ভারী আর্মি স্টেডিয়ামের বাতাস নেপালে ট্যুর বাতিল করছে আতঙ্কিত যাত্রীরা ছবিতে নেপালে বিমান দুর্ঘটনা 'পরিবার চায়নি একমাত্র সন্তান পাইলট হোক' কিন্তু নেপালে বিমান দুর্ঘটনার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তারা। হুসনা বানু বলছিলেন, "যখনি নেপালে বিমান ক্রাশের খবর পাই, এরপর থেকেই মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে। এমনকি বাচ্চারাও আর সেখানে যেতে চাইছিলো না। শেষ পর্যন্ত আমরা এই ট্যুরের পরিকল্পনাই বাতিল করে দেই।" দুর্ঘটনার পর হুসনা বেগমের মতো অনেক যাত্রীই এখন আকাশপথের ভ্রমণ নিয়ে রয়েছেন আতংকের মধ্যে। এর প্রভাবও পড়ছে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর ওপর। নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের পর স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। যাত্রী এবং এয়ারক্রাফট সংকটে প্রতিষ্ঠানটির নেপালগামী সব ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এছাড়া অন্য রুটেও ঘটছে টিকেট বাতিলের ঘটনা। কিন্তু অন্য পরিবহন সংস্থাগুলোতে কী প্রভাব পড়ছে? জানতে চাইলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ জানিয়েছেন, নেপালগামী ফ্লাইটে যাত্রী হারাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। বাংলাদেশ বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ বলছিলেন, নেপাল দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ বিমানের নেপালগামী ফ্লাইটে তিনি বলছিলেন, "সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে কাঠমান্ডু সেক্টরে আমাদের উপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে যারা ছুটি কিংবা অবসর কাটাতে নেপালে যান এধরণের কিছু গ্রুপ বুকিং বাতিল হয়েছে। দুর্ঘটনার পর নেপালে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে।" তবে নেপাল বাদে বিমানের অন্য রুটের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী সংখ্যায় তেমন হেরফের নেই বলে জানান তিনি। বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুল ইসলাম অবশ্য বললেন, নেপাল ট্রাজেডির পর তাদের পরিবহনেও এর "খানিকটা প্রভাব" পড়েছে। তবে সেটা খুব বেশি ক্ষতির কারণ হবে না বলেই আশা করছেন তারা। বাংলাদেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পর বেসরকারি খাতে যাত্রী পরিবহন সেবা চালু হয় ১৯৯৬ সালে। এরপর একে একে ১২টি বেসরকারি কোম্পানি এই খাতে এলেও লোকসানে পড়ে ৯টি প্রতিষ্ঠানই গুটিয়ে নেয় তাদের ব্যবসা। নানা প্রচেষ্টার পর এখনো বিমান পরিচালনার ব্যবসা খুব একটা লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশে। এমন অবস্থায় নেপালের এই দুর্ঘটনায় বিমান পরিবহন খাতে যে ক্ষতিকর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে? বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ড. এম এ মোমেন বলছেন, নেপালে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনা বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হবে না। বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিজেন্ট এয়ারের সাবেক সিইও ড. এম এ মোমেন বলছিলেন, "নেপালের দুর্ঘটনা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এর কোন না কোন প্রভাব তো পড়বেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের এখানে বিমান পরিবহন ব্যবসায় যাত্রীর সংখ্যা কিন্তু ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ এখানে জোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি। এবং এখানে ট্যুরিস্টের চেয়ে কাজের প্রয়োজনে বিমান ভ্রমণ বেশি হয়। সুতরাং আমাদের দেশে এর ইম্প্যাক্ট খুব বেশি হওয়ার কথা না। এটা বেশিদিন থাকবে না।" তার মতে, এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের আস্থা কতদ্রুত ফেরাতে পারছে তার উপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু। তিনি বলছিলেন, "যাত্রীদের মধ্যে অবশ্যই একটা ভীতি কাজ করছে। এক্ষেত্রে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের উচিত হবে যাত্রীদের আশ্বস্ত করা। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। ...নেপাল দুর্ঘটনার তদন্ত শেষে যদি আহত-নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় এবং তদন্তের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে সেটা যাত্রীদের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে।" কিন্তু যাত্রীদের উদ্বেগ কমাতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো? বেসরকারি রিজেন্ট এয়াওয়েজের সিইও লে. জে. (অব.) এম এফ আকবর বিবিসিকে বলছিলেন, "যাত্রীদের মানসিক উদ্বেগ বা আতংক কাটাতে আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্নভাবে তাদের আশ্বস্ত করতে। আমাদের নিরাপত্তা পদক্ষেপগুলো তাদের জানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বিমানের ফিটনেস, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সকল বিষয় রিফ্রেশ করা হচ্ছে।" আরো পড়ুন: বিদেশীদের যৌন কাজের টার্গেট হচ্ছে রোহিঙ্গা মেয়েরা মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগে সু চি'র কী লাভ? নিউটন ও ডারউইনের পাশে সমাহিত হবেন হকিং দীর্ঘশ্বাসে ভারী আর্মি স্টেডিয়ামের বাতাস নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: চলছে স্বজনদের শোকের মাতম | বিমান পরিবহন খাতে নেপাল দুর্ঘটনার প্রভাব কি দীর্ঘমেয়াদি হবে? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | রেহানা ফাতিমা রাজ্যের প্রভাবশালী ধর্মীয় সংগঠন 'দ্য কেরালা মুসলিম জামাত কাউন্সিল' ঘোষণা করেছে- রেহানা ফাতিমা নামে ওই নারীর মুসলিম নাম ব্যবহার করার আর কোনও অধিকার থাকবে না। 'লক্ষ লক্ষ হিন্দু ভক্তর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্যই' কাউন্সিল রেহানা ফাতিমার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে হাতিয়ার করে গত সপ্তাহে যে হাতেগোনা কয়েকজন নারী কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন, রেহানা ছিলেন তাদেরই একজন। গত শুক্রবার, মন্দির খোলার পর তৃতীয় দিনে রেহানা ফাতিমা ও তার সঙ্গী কবিতা জাক্কালা নামে এক নারী সাংবাদিক শতাধিক পুলিশকর্মীর পাহারায় শবরীমালা মন্দিরের পাঁচশো মিটারের মধ্যে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত ওই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে তাদের ফিরে আসতে হয়। কেরালার একটি মসজিদ। রাজ্যের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই মুসলিম এদিকে রেহানা ফাতিমা যখন শবরীমালার অভিমুখে ট্রেক করছেন, সে দিনই দুজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে এসে তার কোচি-র বাসভবনে হামলা চালায়। সে সময় রেহানা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, "আমার জীবনের ওপরও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এমন কী আমার বাচ্চারা নিরাপদে আছে কি না সেটাও জানি না!" কিন্তু রেহানা ফাতিমা যেভাবে শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, তার তীব্র নিন্দা জানাতে থাকে বিজেপি-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী দল। তামিলনাডুতে বিজেপির সভাপতি টি সৌন্দরারাজন টুইট করেন, "শবরীমালা হল বিশ্বাসীদের উপাসনার জায়গা। কিন্তু বহু বছর ধরেই অবিশ্বাসী ও অ্যাক্টিভিস্টরা সেখানে গিয়ে অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে নষ্ট করতে চাইছে।" "অ্যাক্টিভিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে অন্য ধর্মের মৌলবাদীরাও যেভাবে এখন সেখানে ঢুকতে চাইছে, আমি তাতে স্তম্ভিত। হিন্দুদের এভাবে আঘাত করার চেষ্টা অতি নিন্দনীয়।" কেরালার খ্রিষ্টান বিধায়ক পি সি জর্জও দাবি তোলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার অপরাধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩(এ) ধারা অনুযায়ী রেহানা ফাতিমাকে গ্রেফতার করা উচিত। শবরীমালা মন্দিরে নারীদের ঢুকতে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। অক্টোবর, ২০১৮ এর পরই 'দ্য কেরালা মুসলিম জামাত কাউন্সিল' সিদ্ধান্ত নেয় যে রেহানা ফাতিমাকে ইসলাম থেকেই বহিষ্কার করা হবে। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এ পুকুঞ্জু এক বিবৃতিতে বলেন, "তিনি যা করেছেন সেটা হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসের পরিপন্থী।" "এর আগেও তিনি 'কিস অব লাভ' (প্রকাশ্যে চুম্বন) প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। নগ্ন হয়ে সিনেমাতেও নেমেছেন। এরপর কোনও মুসলিম নাম নিয়ে চলার অধিকার তার নেই বলেই আমরা মনে করি।" কাউন্সিল শুধু এতেই থেমে থাকেনি, এর্নাকুলাম সেন্ট্রাল মুসলিম জামাত-কেও নির্দেশ দিয়েছে রেহানা ফাতিমার পরিবারের (স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে) 'মহল্লু সদস্যপদ'ও যেন খারিজ করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে রেহানা ফাতিমা নিজে দ্য হিন্দু পত্রিকাকে জানিয়েছেন, "আমি শবরীমালা মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, কারণ আমার মুসলিম নামকে ব্যবহার করে তিনি ধর্মীয় আবেগকে উসকানি দিচ্ছেন ও দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছেন।" শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টায় রেহানা ফাতিমা (বাঁয়ে) ও কবিতা জাক্কালা রেহানা আরও দাবি করেন, শবরীমালা একটি ধর্মনিরপেক্ষ তীর্থস্থান এবং সেখানে সব ধর্মের মানুষেরই প্রবেশাধিকার আছে। শবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার আগে হিন্দু তীর্থযাত্রীরা যেভাবে ৪১ দিন ধরে উপবাস করে থাকেন, সেভাবে তিনিও নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রেহানা ফাতিমা। রেহানা ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের একজন কর্মী। এ বছরের মার্চ মাসে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেও তিনি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। ওই ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছিল নিজের স্তনদুটি তিনি শুধুমাত্র দুটুকরো তরমুজ দিয়ে ঢেকে ক্যামেরার সামনে এসেছেন। তার কিছুদিন আগেই কেরালার কোঝিকোড়ে একজন মুসলিম অধ্যাপক বলেছিলেন, "যে মুসলিম নারীরা হিজাব পরেন না, তারা নিজেদের স্তনদুটো কাটা তরমুজের মতো তুলে ধরতে চান।" সেই মন্তব্যের প্রতিবাদেই রেহানা ফাতিমা ওই ছবি পোস্ট করেছিলেন বলে সে সময় জানান। | ভারতে শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে চাওয়া রেহানা ফাতিমাকে মুরতাদ ঘোষণা কেরালা মুসলিম জামাত কাউন্সিলের |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | বিশ্বকাপের ফটোসেশনে বাংলাদেশ দল সোমবার বেশ আয়োজন করেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯-এর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি উন্মোচন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড -বিসিবি। একইসাথে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপগামী দলের অফিসিয়াল ফটোসেশনও। আর এই ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। জার্সির ডিজাইন ও রং নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবার হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটো আলাদা জার্সি করেছে বিসিবি। যার একটি সবুজ ও অন্যটি লাল। তবে যে সবুজ জার্সি পরে ফটোসেশন করেন মাশরাফি-তামিমরা সেটাতে কোন লালের ছোঁয়া না থাকাতেই আপত্তি তৈরি হয় অনেকের। এমনকি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জার্সি বদলের কথাও আসতে থাকে। পাকিস্তানের যে জার্সির সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ভক্তরা তবে বিসিবি বলছে, তাদের ডিজাইনে শুরুতে লাল রং রাখা হয়েছিল। "জার্সিতে কিন্তু শুরুতে লাল রং ছিল, আমরা বাংলাদেশ ও ক্রিকেটারের নামটা লাল রঙে লিখেছিলাম। কিন্তু আইসিসি আমাদের বলে সেটা সাদা রঙে দিতে,''-জানাচ্ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। আইসিসি তাদের ফেসবুক ও টুইটারের কাভার ফটো করেছে বাংলাদেশ দলের এই ছবি দিয়ে। সব দেশকেই তাদের বিশ্বকাপ জার্সির জন্য আইসিসির অনুমোদন নিতে হয়। এবার তাই পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আইসিসির কাছেই আবেদন করতে হবে বিসিবিকে। যদিও এরইমধ্যে এই জার্সির ছবি আইসিসি সবখানে ব্যবহার শুরু করেছে। "আমাদের এখন আইসিসির অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী যেতে হবে। এই মুহূর্তে তাই বলতে পারছি না কেমন পরিবর্তন, তবে একটা মাইনর চেঞ্জ হবে,''-বলছিলেন নিজামউদ্দিন চৌধুরি। জার্সি নিয়ে সবচেয়ে বড় সমালোচনাটা হল পাকিস্তানের সঙ্গে এর মিল। ফেসবুকে দুই দলের জার্সি মিলিয়ে বিভিন্ন ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এই জার্সিকে পাকিস্তান বা আয়ারল্যান্ডের মতো বলে মন্তব্য করছেন তবে এটাকে 'নিতান্ত কাকতালীয়' বলছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। "পাকিস্তানের কাছ থেকে কেন কপি করবো আমরা, বরং ওরাই আরো আমাদের কাছ থেকে কপি করবে। দেখুন আমাদের জার্সি সবসময় লাল-সবুজ থিমের উপর করা হয়।" "এর সাথে কমলা বা হলুদ রংও কিন্তু যুক্ত হয়। এর আগেও হালকা সবুজ বা লাল রংয়ের জার্সি পরে বাংলাদেশ খেলেছে।'' অধিনায়ক মাশরাফিকে নতুন জার্সি তুলে দিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি তাহলে কি নেতিবাচক সমালোচনার কারণেই জার্সি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে হল বিসিবিকে? - এ প্রশ্নের উত্তরে এই দুই কর্মকর্তা বললেন "অনেকটা সেরকমই"।' তবে আপাতত আইসিসির অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর উপায় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জার্সি বিতর্ক: পাকিস্তান দলের সঙ্গে কতটা মিল বাংলাদেশের রাজধানী কি ঢাকার বাইরে নিতে হবে? | বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯: বির্তকের মুখে বাংলাদেশের জার্সিতে 'পরিবর্তনের আবেদন' করেছে বিসিবি |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ফুটবল মাঠে সাদি আল গাদ্দাফি। ধারণা করা হয় যে ব্যাপক প্রচারণা পাওয়ার জন্যই পেরুজার মালিক লুচিয়ানো গাউচি এই চুক্তিটি করেছিলেন। ইতালীয় ফুটবল লিগ সেরেয়ার একটি মাত্র খেলায় তাকে নামানো হয়েছিল, তাও বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। তবে খেলার চেয়েও তিনি বেশি আলোচিত হয়েছিলেন মাঠের বাইরে, বিশেষ করে তার প্লেবয় লাইফ-স্টাইল এবং লাগামহীন খরচ করার স্বভাবের কারণে। সময়টা ছিল ২০০৩ সালের গ্রীষ্মকাল। ইতালির প্রথম সারির ফুটবল ক্লাব পেরুজা মওসুম শুরু হওয়ার আগে তাদের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে। রেলিগেশন এড়ানোর জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করছিল সেসময়। কিন্তু এবছর তাদের টিম ছিল বেশ শক্তিশালী। দলে অভিজ্ঞ ফুটবলার যেমন ছিল তেমনি ছিল বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়ও, যারা আরো বড়ো ক্লাবে যাওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে চাইছিল। পেরুজার ফরোয়ার্ডে খেলতেন ২১ বছর বয়সী জে বথরয়েড। তিনি গেছেন ইংল্যান্ড থেকে, বলেন, "এই ক্লাবে ভাল ভাল ফুটবলার ছিল। এটা ছিল একটা পরিবার-কেন্দ্রিক ক্লাব। বেশ ভালই ছিল।" পেরুজার গোলরক্ষক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জোকো ক্যালাচ। ক্লাবের সবাই তাকে খুব পছন্দ করতো। তিনি বলেন, "আমরা সবাই খেলছিলাম টিকে থাকার জন্য। সেরিয়াতে টিকে থাকতে পারাটাই আমাদের জন্য ছিল লিগের শিরোপা জেতার মতো বিষয়।" সেসময় পেরুজায় নতুন একজন ফুটবলার নেওয়া হয়। তার নাম সাদি আল গাদ্দাফি। আধুনিক ফুটবলের ইতিহাসে তাকে দলে নেওয়া ছিল অস্বাভাবিক এক ঘটনা। কারণ তার পিতা তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি। আল সাদি পরিচিত ছিলেন শুধু সাদি নামেই। ফুটবল খেলতে ভালবাসতেন তিনি। ক্লাবে যোগ দেওয়ার অল্প কদিনের মধ্যে তিনি জে বথরয়েডসহ সব ফুটবলারের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। জো বথরয়েড বলেন, "আমরা দুজন ইংরেজিতে কথা বলতাম। তার পিতা লিবিয়ার লোকজনের প্রতি যা করেছেন তার জন্য আমি তার পিতাকে ক্ষমা করতে পারি না। তবে সাদি ছিল মৃদুভাষী। খুব শান্ত এবং উদার প্রকৃতির মানুষ।" কারগারে আটক সাদি আল গাদ্দাফি। গোলকিপার জোকো ক্যালাচের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল সাদি আল গাদ্দাফির। তিনি একদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, "সাদি একটা জায়গায় বসেছিল। সে হয়তো ক্লান্ত ছিল কিম্বা তার মেজাজ খারাপ ছিল। আমি জানতে চাইলাম সে এখানে কী করছে।" "কয়েক ঘণ্টা পর তার দেহরক্ষীরা আমার রুমের দরজায় টোকা দিল। বলল যে সাদি তার রুমে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি ভাবলাম এখানেই হয়তো আমার জীবনের শেষ। তার সঙ্গে আমার কথাবার্তা হলো। পরে সে বললো যে এই প্রথম কেউ তার সঙ্গে এতোটা খোলামেলা কথা বলেছে। সেদিনের পর থেকে আমরা দুজন ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম।" সাদি আল গাদ্দাফি খুব একটা ভাল ফুটবলার ছিলেন না। তবে নিজেকে উন্নত করার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া কীভাবে ১৯৪৭ সালে দু'ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর পৃথিবীতেই সাজানো দেড় বছরের এক মহাকাশ অভিযান "অনুশীলনের সময় আপনি যদি কারো সামনে পড়ে যান, আপনি হয়তো লাথি খেতে পারেন। তারপরেও আপনি খেলা চালিয়ে যাবেন। সাদিও এটা মেনে নিয়েছিল। অন্যরাও বোকা ছিল না। তারা জানতো যে তার দেহরক্ষীরা কার পার্কে বসে আছে," বলেন জোকো ক্যালাচ। "সাদি যে লিবিয়ার বাইরে - এটাই ছিল তার জন্য বড় ধরনের স্বাধীনতা। সে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারছিল। এবং এমন একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যার ছিল প্রচুর অর্থ।" সাদিকে নিয়ে খেলার মাঠে যতটা না আলোচনা ছিল, তার চেয়েও বেশি আলোচনা ছিল মাঠের বাইরে তার কর্মকাণ্ডের জন্য। আর সেটা ছিল তার বিলাস বহুল জীবন যাপনের কারণে। জে বথরয়েড বলেন, "সে একদিন আমাকে কল করলো। জানতে চাইল আমি তার সঙ্গে শপিং-এ যেতে চাই কিনা। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। আমরা তখন একটা এয়ারপোর্টে চলে যাই। সে তখন বললো কেনাকাটার জন্য সে আজ মিলানে যাবে।" "তার একটা ব্যক্তিগত জেট ছিল। সেটা দিয়ে আমরা মিলানে চলে গেলাম। সেখানে তার এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। ওই পার্টিতেই আমার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দেখা। সাদি প্রচুর খরচ করতো। তার সঙ্গে থাকতো একজন সুটকেস-ধারী ব্যক্তি যাতে প্রচুর নগদ অর্থ থাকতো।" জে বথরয়েডের বিয়ের সব খরচও দিয়েছিলেন সাদি আল গাদ্দাফি। পেরুজা ক্লাবের অনুশীলনে সাদি গাদ্দাফি। একই ধরনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন জোকো ক্যালাচও। বললেন,"সেটা ছিল ক্রিসমাসের ছুটির আগে শেষ ম্যাচ। সাদি আমাকে বললো যে খেলার পর আমরা মিলানে চলে যাবো এবং সেখানে কয়েক রাত থাকবো। আমাদের হাতে ছিল দশ দিনের অবসর।" "আমরা প্লেনে করে মিলানে চলে গেলাম। পরদিন সকালে সে আমাকে বললো চলে বাহামা যাই। আমি বললাম, না না আমি বাহামা যেতে পারবো না, কোন কাপড় চোপড় আনিনি। তখন সে বললো এটা নিয়ে চিন্তা করো না, ওখানে গিয়ে আমরা সবকিছু কিনে ফেলবো।" আল সাদি কিন্তু তখনও পেরুজার হয়ে কোনো ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। কিন্তু ২০০৪ সালে পেরুজা যখন ইউভেন্টাসের মুখোমুখি হলো তখন তার জীবনে এলো বড় পরিবর্তন। পেরুজা এক-শূন্য গোলে এগিয়ে গেল। তার পর ইউভেন্টাসের একজন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেওয়া হলো মাঠের বাইরে। আহত হলেন জে বথরয়েড। তখন সাদিকে মাঠে নামানোর দারুণ সুযোগ পেয়ে গেলেন পেরুজার ম্যানেজার। শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচে তারা জয়ী হলো। এটাই ছিল পেরুজার হয়ে সাদির একমাত্র ম্যাচ। তবে ক্লাবের অন্যান্য খেলোয়াড়ের জন্য ছিল একটা বোনাসের মতো। জে বথরয়েড বলেন, "কারো যখন খেলায় অভিষেক হয় তখন সে সবাইকে খাওয়াতে নিয়ে যায়। সাদির অভিষেক হওয়ার পর সে সবাইকে মার্সিডিজ গাড়ি কিনে দিতে চাইল।" সাদির পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু তিনি ইতালির আরো কিছু ক্লাবেও গিয়েছিলেন। কিন্তু খেলতে পেরেছিলেন আরো একটি ম্যাচ। তার পর ২০০৭ সালে তিনি লিবিয়াতে ফিরে যান। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পরিবারের ভাগ্য বদলে যেতে শুরু করে। আরব দেশগুলোতে আরব বসন্ত নামে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যায় লিবিয়াতে এবং গাদ্দাফি সরকারের পতন ঘটে। এই পরিবারের ব্যাপক দুর্নীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চলে আসে আন্তর্জাতিক আলোচনায়। ২০১১ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা যায় যে সাদি শত শত প্রতিবাদকারীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই প্রতিবেদনে একজন বলেছেন, সাদি আল গাদ্দাফি প্রতিবাদকারীদের আরো একদিন সময় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন যে এর মধ্যে যদি কোন পরিবর্তন না হয় তখন তাদের ওপর গুলি চালাতে। পেরুজার হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে খেলেন সাদি আল গাদ্দাফি। আরো পড়তে পারেন: ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বদলায়নি, বলছে বাংলাদেশ সরকার সাইপ্রাসে ম্যালেরিয়া নির্মূলকারী 'বীর' মেহমেত আজিজকে ভুলে গেছে সবাই মাউন্ট নিরাগঙ্গের অগ্ন্যুৎপাতে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ বিবিসির রিপোর্টার সাদির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, "তারা পুলিশ স্টেশনে হামলা চালাতে শুরু করে। সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যায়। তখন আমাদের জন্য পরিস্থিতি খুব অনিরাপদ হয়ে পড়ে।" সেসময় সাদি সম্পর্কে যেসব খবর আসতে থাকে বাইরের দুনিয়ায় সেসব সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না তার সতীর্থ খেলোয়াড়দের। জোকো ক্যালাচ বলেন, "আমি তো সবকিছু জানতাম না। আমি তাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে চিনতাম। আমার কাছে সে ছিল বন্ধু।" পরে গাদ্দাফি সরকারের পতন ঘটে এবং গাদ্দাফি নিহত হন। লিবিয়া থেকে পালিয়ে যান সাদি। কিন্তু ২০১৪ সালে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং এর পর থেকে তিনি সেখানেই আটক রয়েছেন। তিনি যে একসময় পেরুজার শার্ট পরে ফুটবল খেলেছেন অনেকের কাছেই এখন তা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। | ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যে ছেলে খেলেছেন ইতালির ফুটবল ক্লাবে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ভিকারুন্নিসা স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ গত ২রা ডিসেম্বর রোববার ওই স্কুলে পরীক্ষা চলার সময় অরিত্রী অধিকারী নামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ ওঠে এবং পরদিন তার বাবা-মাকে ডেকে এনে তিরস্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেদিনই অরিত্রী শান্তিনগরে তাদের বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানান তার অভিভাবকরা। অরিত্রীর পরিবার এবং বন্ধুদের অভিযোগ, তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে যে হেনস্তা এবং অপমানের শিকার হতে হয়, তার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে এর আগেও অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মুশতারি সুলতানা স্বীকার করেন যে, এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। তিনি বলেন, এর পর তারা স্কুলের ছাত্রীদের মানসিক সহায়তা দেবার জন্য কাউন্সেলিং করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। মুশতারি সুলতানা বলেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করেছেন যারা খুব শিগগিরই এ ঘটনাজনিত মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য স্কুলের মেয়েদেরকে মানসিক সহায়তা দেবেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে আত্মহত্যা করে?' ঢাকার ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল শুধু তাই নয় - মিজ সুলতানা বলেন, এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা স্কুলে একজন স্থায়ী মানসিক পরামর্শক নিয়োগ দেবার উদ্যোগও নিয়েছেন - যিনি কোন ছাত্রীর মধ্যে কোন মানসিক বিপর্যয়ের লক্ষণ দেখতে পেলে তাকে কাউন্সেলিং করবেন। কিভাবে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, আত্মহত্যার মতো পথে যেতে কেউ যেন প্ররোচিত না হয় - এ ধরণের মনোবৈজ্ঞানিক পরামর্শ ছাত্রীদের দেয়া হবে বলে আভাস দেন তিনি। অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করলে ভিকারুন্নিসা স্কুলের শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ - তবে রোববার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ উভয়েই অন্যদিকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রোববার বলেছেন, ভিকারুননিসা স্কুলের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা যেসব অভিযোগ করেছেন - সেগুলোর ব্যাপারে তদন্তের পর বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এঘটনার প্রতিবাদে যে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন তাদের অনেকের মতে, স্কুলের শিক্ষকদের শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত । কয়েকজন অভিভাবক বলেন, কিশোর-কিশোরীরা অনেক সময় অতিরিক্ত অনুভূতিশীল এবং সংবেদনশীল হয়, এবং অনেক সময় সামান্য ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে; তাই তাদের জন্য মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা সব স্কুলেই থাকা প্রয়োজন। তারা বলেন, অনেক উন্নত দেশেই স্কুল-কলেজের কিশোর শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য কাউন্সেলিং বা বিশেষজ্ঞ মনস্তত্ত্ববিদের সাথে আলোচনার সুযোগ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় কোনো স্কুলেই এ ধরণের ব্যবস্থা নেই। বিবিসি বাংলায় আরো খবর কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের যেভাবে সামলাচ্ছে দলগুলো আসন নিয়ে দল আর জোটে শেষ মুহূর্তের টানাটানি | ছাত্রীদের কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা হবে ভিকারুননিসা স্কুলে |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া নিজেও নির্বাচন করতে চেয়েছেন। যদিও দুর্নীতিতে সাজা হওয়ার কারণে আদৌ তার প্রার্থিতা গৃহীত হবে কীনা - তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে। কয়েকদিন আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তাঁর সাত বছরের সাজা হয়েছে। কোন ভরসায় খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে চাইছেন? দু'টি মামলারই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি না পাওয়ায় বিএনপির নেত্রীর পক্ষে এখনও আপিল করা সম্ভব হয়নি। এখন মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময়ের মধ্যে রায়ের কপি পাওয়া এবং আপিলের সুযোগ কম বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। একইসাথে তারা বলছেন, এ ধরনের ইস্যুতে আপিল বিভাগের আগের রায় আছে, সেই রায়ের আলোকে নির্বাচন কমিশনই তাদের নেত্রীকে নির্বাচনে যোগ্য ঘোষণা করতে পারে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছিলেন, বিষয়টাতে ভিন্ন ভিন্ন আইনি ব্যাখ্যা থাকলেও তাদের নেত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য হবেন বলেই তারা বিশ্বাস করেন। "আইনজীবীদের দুই রকমই ভাষ্য আছে। যেমন একপক্ষ বলছেন যে, এটা পারবেন না। আরেক পক্ষ বলছেন, পারবেন। আমরা মনে করছি, এটা বাধা হবে না। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আমরা এই মুহূর্তে মনে করছি, সেখানে কোন বাধা নেই।" বিএনপির মহাসচিবের সাথে খালেদা জিয়া। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচন: কীভাবে দলগুলো প্রার্থী বাছাই করে ডায়াবেটিস সম্পর্কে যেসব জানা জরুরি বাংলাদেশী যে নারীর স্বপ্ন সারা বিশ্ব ঘুরে দেখা কিন্তু দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা হওয়ায় সেখানে নৈতিক স্খলনের বিষয় আসে। আর এই ইস্যুতেই নির্বাচনে প্রার্থীকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয়। বিএনপি নেতারা একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন, তারা বলছেন, রায়ের সার্টিফাইড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তারা যদি আপিল করতে না পারেন, সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনও বলতে পারে যে, তারা রায়ের কপি পায়নি। ফলে কমিশন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। ভিন্নমত বা ভিন্ন ব্যাখ্যা যে আছে, সেটাও বিএনপি নেতারা বিবেচনায় রাখছেন। তবে তারা শুধু নিজেদের ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করছেন। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আদালতে পুরনো রায় এবং আগের সংসদগুলোর অভিজ্ঞতার উপরও ভরসা করছেন তারা। "আমরা মনে করি, এটা একটা ব্যাখ্যার বিষয়। কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মামলা যদি আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন। এর সুযোগ নিয়ে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী বা এমপি আছেন।" তিনি আরও বলেছেন, "আমরা চাই আমাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উনিও নির্বাচন করতে চান। সেজন্য মনোনয়নপত্র নেয়া হয়েছে এবং মনোনয়ন পত্র দাখিলও করা হবে।" বিএনপি নেতাদের অনেকে বলেছেন, অনিশ্চয়তা এবং বিভ্রান্তি থাকলেও দলের নেতা কর্মী এবং ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার রাজনৈতিক কৌশল থেকে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীরের উদাহরণ টেনে আনছেন। সাজা হওয়ার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মহিউদ্দিন খান আলমগীর সংসদ সদস্য হয়েছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগ সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হয়েছিলেন। সে সময়ের নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, কমিশন তখন মি: আলমগীরের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছিল। দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। "আমাদের অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি, মহিউদ্দিন খান আলমগীরের দুই বছরের বেশি সাজা হয়েছিল নিম্ন আদালতে। এবং উনি জামিনে ছিলেন। সেটা যখন রিটার্নিং অফিসার বাতিল করলো, তিনি আপিল করেছিলেন নির্বাচন কমিশনে। তখন আমরা কমিশনও তাঁর আবেদন বাতিল করে দিয়েছিলাম। পরে উনি উচ্চতর আদালতে চেম্বার জাজের কাছে গিয়েছিলেন, চেম্বার জাজ উনাকে নির্বাচন করার পক্ষে রায় দিলেন। এরপর আমরা তাঁকে নির্বাচন করতে দিয়েছিলাম।" "কিন্তু আলটিমেটলি উনার সংসদ সদস্য পদটি খারিজ হয়ে যায়। পরে যখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ উনার আপিল খারিজ করে দিয়ে বললো, তিনি যেদিন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেইদিন তিনি সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।" নবম সংসদের শেষ পর্যায়ে গিয়ে আদালতে রায়ে মি: আলমগীরকে সংসদ সদস্যপদ হারাতে হয়েছিল। বিএনপি নেতারা বলছেন, বিভ্রান্তি বা অস্পষ্টতা যাই থাকুক না কেন, তাদের নেত্রীর প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার প্রশ্নে তারা আদালত পর্যন্ত যাবেন। | বাংলাদেশে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া কোন ভরসায় নির্বাচন করতে চাইছেন? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | নুসরাত জাহান রাফি একই সাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার মা গত ২৭শে মার্চ সোনাগাজী থানায় স্থানীয় ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ঐ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে। ঐ ঘটনার তদন্তে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জিজ্ঞাসাবাদের নামে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করেন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ জন আসামীর সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। গত ১৫ই এপ্রিল মি. হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তার তদন্তে নুসরাত জাহানের জবানবন্দি রেকর্ড করে সেটা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে। আরো খবর: মোবাইল অ্যাপ কীভাবে ধান ক্রয়ে দুর্নীতি ঠেকাবে মাথায় বলের আঘাত মারাত্মক কি না বোঝার উপায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীগুলো 'শক্ত মেয়েদেরও আমি টেবিলে বসে কাঁদতে দেখেছি’ হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে ট্রাম্পের আইন পাশ | নুসরাত হত্যা: জবানবন্দীর ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার ঘটনায় সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ড |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | মস্কোতে আজ পুতিন-এরদোয়ান বৈঠক, যুদ্ধ এড়ানো যাবে কি? যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া এই যুদ্ধে তুরস্কের প্রতিপক্ষ হয়ে যেতে পারে - এই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। ইদলিবে গত কদিনের হামলা পাল্টা হামলায় সিরিয়া এবং তুরস্ক দুপক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি প্রাণহানি হয়েছে। বুধবার তুরস্ক তাদের দুজন সৈন্যের নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে। এ নিয়ে ইদলিবে নিহত তুর্কি সৈন্যের সংখ্যা সরকারি হিসাবেই ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে তুরস্ক সিরিয়ার তিনটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে এবং দাবি করেছে তাদের হামলায় ছয়শরও বেশি সিরিয় সৈন্য এবং শিয়া মিলিশিয়া মারা গেছে। এখনও তুরস্ক সিরিয়ায় সরাসরি রুশ সৈন্য বা রুশ যুদ্ধ বিমান টার্গেট করেনি, কিন্তু পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে তেমন ঘটনা মাত্র সময়ের ব্যাপার বলে সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন। যুদ্ধ এড়াতে মস্কো যাচ্ছেন এরদোয়ান 'ভয়ঙ্কর খেলায় পুতিন ও এরদোয়ান' ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট অব ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের বিশ্লেষক কোনোর ডিলিন বলছেন, তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি এখন প্রবল। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকাশনা 'ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট' সাময়িকীতে মি. ডিলিন লিখেছেন, "রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এবং ভ্লাদিমির পুতিন ইদলিবে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছেন। দুজনেরই সেখানে ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং সেগুলো চরিতার্থ করতে কেউই পিছু হটতে রাজী বলে মনে হচ্ছেনা।" তুরস্ক নেটো জোটের সদস্য এবং সৈন্য সংখ্যার বিচারে জোটের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি। তবে পারমানবিক শক্তিধর রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে তুরস্ক ওয়াকিবহাল। সে কারণেই হয়ত প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে মুখোমুখি কথা বলতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) মস্কো যাচ্ছেন যাতে ইদলিবের সংঘাত আয়ত্তের বাইরে না চলে যায়। বুধবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের এক সভার পর মি. এরদোয়ান বলেন, মস্কোতে গিয়ে তিনি ইদলিবে দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চেষ্টা করবেন। ইদলিবের সারাকেব শহরের দখল নিয়ে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চরম নাখোশ রাশিয়া তবে ইদলিবে তুরস্কের সামরিক তৎপরতায় তারা যে কতটা নাখোশ তা খোলাখুলি জানিয়েছে মস্কো। মি এরদোয়োনের মস্কো সফরের আগের দিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে খোলাখুলি বলেছে, ইদলিবে তুরস্কের সৈন্যদের সাথে জিহাদি বিদ্রোহীদের সখ্যতা এবং সহযোগিতা আরো দৃঢ় হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর- জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, তাহরির আল শামস বা হুররা আল দিনের মত যে সব গোষ্ঠীকে জাতিসংঘ সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচনা করে, তারাই এখন ইদলিবে তুরস্কের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে তুর্কি সৈন্যদের সাথে মিলে সামরিক তৎপরতা চালাচেছ। জেনারেল কোনাশেনকভ বলেন, সিরিয়ার হেমেইমে রুশ বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপকহারে কামানের গোলাবর্ষণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইদলিবে মুখোমুখি যুদ্ধ এড়াতে মস্কোতে ৫ই মার্চ মস্কোতে মুখোমুখি বসছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়া বলছে, সিরিয়ার ভেতরে তাদের যান্ত্রিক বহরের বিপুল সমাবেশ ঘটিয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। তাছাড়া, রাশিয়া বলছে, নেটো জোটের হস্তক্ষেপের লক্ষ্যে ইদলিবে ১০ লাখের মত শরণার্থী তৈরি হয়েছে বলে যে দাবি তুরস্ক করছে তা মিথ্যা প্রচারণা। মস্কোর বক্তব্য - তিন বছর আগে শরণার্থীর ছবি ব্যবহার করেছে তুরস্ক। এরদোয়ান কি রণে ভঙ্গ দেবেন? বৃহস্পতিবার মস্কোতে মি. এরদোয়ানকে এসব অভিযোগের কথায় হয়তো তুলে ধরবেন মি. পুতিন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে কি ভড়কে যাবেন মি.এরদোয়ান? আঙ্কারা থেকে যেসব ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তাতে মনে হয়না তুরস্ক সহজে রণে ভঙ্গ দেবে। সিরিয়ার হেমেইমে রুশ বিমান ঘাঁটিতে নিয়মিত হামলার অভিযোগ করছে রাশিয়া বিশেষ করে ইদলিবের সারাকেব শহরে সিরিয়ার এক হামলায় ৩৩ জন তুর্কি সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রোধে টগবগ করে ফুটছে তুরস্ক। একটি হামলায় এত প্রাণহানি তুর্কি সেনাবাহিনীতে গত ৩০ বছরে হয়নি। প্রতিদিনই তুরস্কের সরকার-সমর্থিত মিডিয়াগুলোতে সিরিয়ায় বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর আহ্বান জানানো হচ্ছে। এমনকি বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কেমাল কিলিচদারোগোলু বলেছেন, "যে দেশই আমার সৈন্যের গায়ে হাত দেবে, তারাই শত্রু।" তিনি রাশিয়াকেই ইঙ্গিত করেছেন। সরকার সমর্থক এমএইচপি দলের নেতা দেভলেত বাচেলি বলেছেন, "এখনই দামেস্ক ঢুকে আসাদের মাথায় টুপি চাপিয়ে দিতে হবে।" প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত বেশ কিছুদিন ধরে নেটোর সমালোচনা করলেও, এখন তিনি তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমেরিকান কর্মকর্তারাও দফায় দফায় আঙ্কারায় যাচ্ছেন বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপীয় কম্যান্ডের প্রধান জে টড ডি গত মাসে আঙ্কারায় গিয়ে সিরিয়ায় সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া, গত মাসে ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ক্রাইমিয়া সহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে তুরস্ক সবসময় সমর্থন করবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য তিনি ২০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। মি.এরদোয়ানের এসব কথাবার্তায় ক্ষিপ্ত হয়েছে রাশিয়া এবং রুশ রাজনীতিকরা তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করছেন না। মস্কো মনে করছে, মি. এরদোয়ান রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন। ইদলিবে তুরস্ক সমর্থিত বিদোহীরা সিরিয়ার সরকারি সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে 'রাশিয়া লড়াইতে প্রস্তুত' কিন্তু রাশিয়া কি ইদলিব পুনর্দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে? ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ রুশ রাজনীতিক সের্গেই মারকভ রয়টরস বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, "রাশিয়া শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং যে কোনো লড়াইতে তারা প্রস্তুত।" জানা গেছে ইদলিবের সারাকেভ শহরে রাশিয়া তাদের সামরিক পুলিশ মোতায়েন করেছে। তারা দেখতে চাইছে তুরস্ক এরপরও সেখানে হামলা করে কিনা। মি মারকভ বলছেন, "সারাকেবের ওপর যে কোনো হামলা হবে রাশিয়ার ওপর হামলা।" গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে ক্রুজ মিসাইল বহনকারী নতুন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া। ইদলিব থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দ্রুত সিরিয়ার যুদ্ধ শেষ করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু তুরস্কের কাছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কৌশলগত মূল্য অনেক। এদেরকে তারা কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চায়। ফলে বৃহস্পতিবার মি. এরদোয়ান এবং মি. পুতিনের বৈঠকে ইদলিব নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান হবে - এমন আশা কেউ করছেন না। | ভয়ঙ্কর খেলায় পুতিন ও এরদোয়ান, যুদ্ধ এড়াতে মস্কোতে শীর্ষ বৈঠক |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ফেসবুকে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি ফেসবুকে দূতাবাসের পাতায় প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা - যারা বাংলাদেশের গর্বিত গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নেতা - তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর আক্রমণ সেই সব মূলনীতির বিরোধী, যার ওপর আমাদের মতো দেশগুলো প্রতিষ্ঠিত।" এতে আরো বলা হয়, "বাকস্বাধীনতা, জমায়েতের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের মতো যে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো যারা প্রয়োগ করছে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে।" ফেসবুকে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি এই বিবৃতির সাথে একটি 'পিসফুলপ্রটেস্টবিডি' নামে একটি হ্যাশট্যাগ সংযুক্ত করা হয়েছে - যাতে এ বিষয় নিয়ে আরো মন্তব্য বা পোস্ট রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পাতার এ বিবৃতিটি বহুলোক শেয়ার করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পিসফুলপ্রটেস্টবিডি হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'রাস্তায় বের হতে পারবি না, পরিবারকে গুম করে দিবে' যে কারণে কোটা আন্দোলন নিয়ে আবার উত্তেজনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী ছাত্র সমাবেশ বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে। এ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে সবধরণের কোটা বাতিল করা হবে বলে সংসদে বিবৃতি দেন। কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে অগ্রগতি না হবার কারণ দেখিয়ে কিছুদিন আগে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত সপ্তাহে কোটা আন্দোলনকারীদের সমাবেশের ওপর দফায় দফায় আক্রমণ চালানো হয়। এজন্য আন্দোলনকারীরা সরকার-সমর্থক ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও, ছাত্রলীগ এর পেছনে আন্দোলনকারীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই কারণ ছিল বলে দাবি করে। আরো দেখতে পারেন: কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা | বাংলাদেশে কোটাবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার নিন্দা করেছে মার্কিন দূতাবাস |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে প্রথম দেশ হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভূটান। নয়মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ছয়ই ডিসেম্বরের সেই স্বীকৃতি ছিল বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। বিপদের সময়ের সেই বন্ধুকে পরবর্তীতে নানাভাবে প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো চুক্তি স্বাক্ষতির হওয়ার পাশাপাশি সহযোগিতামূলক অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনাও চলছে। আজ স্বীকৃতি দেয়ার বর্ষপূতিতে এক টেলিকনফারেন্সে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব নানা চুক্তিতে সই করে। এতে যোগ দেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে যেসব সহযোগিতামূলক চুক্তি হয়েছে: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বিশ্বের অন্য কোন দেশের সঙ্গে করা এটাই বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ। ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই চুক্তি হওয়ায় বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে আর ভূটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বাড়বে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হচ্ছে ৫৭.৯০ মিলিয়ন ডলারের। ভূটান থেকে বাংলাদেশে সবজি ও ফলমূল, খনিজ দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, বোল্ডার পাথর, চুনাপাথর, কয়লা, পাল্প, রাসায়নিক আমদানি করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভূটানে তৈরি পোশাক, আসবাব, খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম গন্তব্যস্থল না হলেও ভূটানকে দিয়েই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও এধরণের চুক্তি হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: কেন ভারতীয়দের ওপর চড়া পর্যটন কর চাপাচ্ছে ভুটান? বিশ্লেষণ: ভারত-ভুটান সম্পর্ক কোন্ পথে? ভুটানের সাকতেং অরণ্যের ওপরেও এবার চীনের দাবি, দিল্লিকে আরও চাপে ফেলাই লক্ষ্য? নদীবাঁধ আর সেচের জল নিয়ে নেপাল-ভুটানও এবার ভারতের সঙ্গে সংঘাতে ভুটানের আর একটি বড় পর্যটক আকর্ষণ 'পুনাখা জং' শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ২০১০ সাল থেকে ভূটানকে ১৮টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ভূটানের বাজারে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশের ৯০টি পণ্য। ভূটান থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় পাথর। বাংলাদেশ হচ্ছে ভূটানের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। ভুটানের জন্য উম্মুক্ত সব বন্দর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভূটান চাইলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রাবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া আন্তঃদেশীয় পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধার্থে তারা চাইলে, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে গুদামও তৈরি করতে পারে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো দিয়ে মালামাল পরিবহন করতে চায় ভূমি বেষ্টিত দেশ ভূটান। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা মাশুল ছাড়ের জন্য তারা দাবি করছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে আমাদের নদীপথগুলো ব্যবহার করে ভারতের ধুবড়ি বন্দরে মালামাল নিয়ে যেতে চায় ভূটান। ধুবড়ি থেকে ভূটান অনেক কাছে, ফলে তারা বাংলাদেশের নদীপথগুলো তারা ব্যবহার করে সেখানে পণ্য পরিবহন করতে চায়। নৌপথে রৌমারী-চিলমারী হয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রেলপথেও ভূটানকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রোহনপুর-সিংগাবাদ রেলরুটটি চালু করা হবে। তিন স্থলবন্দর উন্মুক্ত একসময় ভূটানের সঙ্গে শুধুমাত্র বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়েই বাণিজ্য সম্পাদিত হতো। তবে এখন স্থলপথে বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসাবে তামাবিল, বাংলাবান্ধা ও নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। চার দেশের মধ্যে যান চলাচল বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে (বিবিআইএন) সড়কপথে যাত্রীবাহী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করার ব্যাপারে একটি আলোচনা হয়েছে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে চারটি দেশের বাসিন্দারা এক দেশ থেকে অন্যদেশে চলাচলে অনেক সুবিধা পাবেন। তবে বাকি তিনটি দেশ এই সমঝোতার ব্যাপারে একমত হলেও পরিবেশের কারণে ভূটানের সংসদ এখনো এই চুক্তিতে সম্মতি দেয়নি। জলবিদ্যুৎ রপ্তানি ভূটানে মোট যত জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তার বেশিরভাগই তাদের প্রয়োজন হয় না। এই বিদ্যুৎ কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেটি ভারতের মধ্যে দিয়ে আনতে হবে বলে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার ওপর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। এ বিষয়ে এখনো কোন চুক্তি হয়নি, তবে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাংচুরের সিসিটিভি ভিডিওতে যা দেখা গেলো এরশাদের পতন ডেকে আনা সাড়া জাগানো সেই ছবির নেপথ্য কাহিনী কোহলি বনাম স্মিথ: প্রজন্ম সেরা দুই ব্যাটসম্যানের পাঁচটি আলোচনার বিষয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রথম দিন, উন্নয়ন সংস্থার নিন্দা | ভূটানকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দেবে বাংলাদেশ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ঢাকার একটি হাসপাতালের দৃশ্য "যখন ছেলেকে হাসপাতালে নিলাম তখন জ্বর ছিলো কম। কিন্তু প্রেশার কমে গিয়েছিলো। রক্তে প্লেটলেট কমতে শুরু করে। এরপর সাত দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।" তিনি বলছেন, "জ্বর চলে যাওয়ার পর ছেলেকে স্যালাইন ও প্রচুর তরল খাওয়াতে হয়েছিলো এবং চিকিৎসকরা যে কয়েকটি জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রেখেছিলেন তা হলো নব'র পাতলা পায়খানা হচ্ছে কি-না কিংবা বুকে বা পেটে কোনো ব্যথা হচ্ছে কি-না সেদিকে নজর রাখা।" তাছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম ও বুকের এক্স রে করা হয়েছে কয়েকবার বুকে পানি জমেছে কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য। চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে যাদের ডেঙ্গু হয়েছে তাদের মধ্যে জ্বর খুব একটা বেশি ওঠছে না। আবার উঠলেও সেটি ২/৩ দিনের মধ্যেই নেমে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে এবারে ডেঙ্গুর যে প্রবণতা সেটি আগের বছরগুলোর মতো নয়, এমনকি লক্ষণও কিছুটা ভিন্ন। কারণ আগের বছরগুলোতে এডিস মশা কামড়ালে প্রচণ্ড জ্বর হতো কিন্তু এবার অনেক ক্ষেত্রেই তাপমাত্রা খুব বেশি হতে দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েক বছর হেমোরেজিক জ্বর হচ্ছিলো অনেকের। কিন্তু এবার সেটি তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এবার যা হচ্ছে চিকিৎসকরা তার নাম দিয়েছেন 'শকড সিনড্রোম।' একারণে এবার অল্প জ্বর হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে বলছেন তারা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঢাকায় এডিস মশা নিধনে ব্যর্থতার ৬টি কারণ শিশুর ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন, করণীয় কী ডেঙ্গু জ্বর: ঈদে সারাদেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা কতটা এবার বহু শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে জ্বর নেমে যাওয়ার পর রোগীর পরিচর্যা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর ইসলাম বলছেন, ৩/৪ দিনে জ্বর কমে আসার পরই মূলত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছেন, রক্তের উপাদান কমে যাওয়া কিংবা রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা জ্বর চলে যাওয়ার পরেই দেখা যায়। "অনেকে মনে করেন জ্বর কমে গেলে আশঙ্কা থাকবে না। আসলে কিন্তু তা নয়। জ্বর কমে গেলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই ভয়ের কিছু থাকবে না।" মিস্টার ইসলাম বলেন, যেসব জটিলতা সাধারণত দেখা যায় তা হলো: রক্তের ভেতরের তরল অংশ বের হয়ে আসা, রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া কিংবা রক্তের প্রেশার কমে যাওয়া- এর চিকিৎসা একটাই স্যালাইন নেয়া বা প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দেয়া। তবে রক্তের প্লেটলেট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্লেটলেট অতি মাত্রায় কমে না গেলে এ নিয়ে ব্যবস্থাও নিতে হয় না। "প্লাজমা লিকেজ বা রক্তের তরল অংশ কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা হয়। তাই প্রয়োজনীয় স্যালাইন দেয়ার পাশাপাশি ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবুর শরবত এসব প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে যাতে প্রেশার কমে রোগী শক সিনড্রোম পর্যন্ত না যায়।" আর এটুকু করা গেলেই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন ডা: তানভীর ইসলাম। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক রাজীব কুমার সাহা বলছেন, ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ তরল খাবার ঠিকমতো খেলে ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। "জ্বর চলে গেলে রোগীকে সচেতনভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে, তাহলেই আর সমস্যা হবে না।" ঢাকার হাসপাতালগুলো সয়লাব ডেঙ্গু রোগীতে ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে থেকে যেতে পারে কি? ডা: তানভীর ইসলাম বলছেন, এরকম কোনো সম্ভাবনা নেই। তার মতে জ্বর চলে গেলে ভাইরাসটিও আস্তে আস্তে বিদায় নিতে থাকে। "এরপর ভাইরাসের যেসব প্রতিক্রিয়া বিশেষ করে রক্তের তরল উপাদান কমে যাওয়া তার চিকিৎসা ঠিক মতো হওয়াটাই এর সমাধান।" তিনি বলেন, "যেটুকু সময় জ্বর থাকে শুধু সেসময়টুকুই ভাইরাসটা সচল থাকে। এরপরে এন্টিবডি তৈরি হলে ভাইরাসটা আর থাকার সুযোগ নেই।" অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট উন্নত হলে বা ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট হয়ে গেলে ভাইরাস আর থাকে না। এর ঝুঁকিগুলো কী? ডা: রাজীব কুমার সাহা বলছেন, রোগী সচেতন হলেই ঝুঁকি এড়ানো যায়। কিন্তু বিলম্ব হলে ঝুঁকি তৈরি হয়। "মোট কথা জ্বর চলে গেলই যে ভালো হয়ে গেলেন তা নয়। পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।" আরো পড়তে পারেন: ৮০ টাকার মশা প্রতিরোধক ক্রিম বিক্রি ৫০০ টাকায় আরো একটি বিদেশি ট্যাংকার ইরানের হাতে আটক যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০জন নিহত উড়ন্ত বোর্ড দিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি | ডেঙ্গু: জ্বর নেমে গেলে রোগীর পরিচর্যা কেমন হবে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | আস্থা শর্মা মি ট্রাম্পকে ট্যাগ করা আস্থা শর্মার ছোট্ট একটা টুইট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে, হাজার হাজার লোক সেটি রি-টুইট বা লাইক করেছেন, বয়ে যাচ্ছে হাজারো মন্তব্যের বন্যাও। ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার, ২১ নভেম্বর - যেদিন ওয়াশিংটন ডিসি-র তাপমাত্রা নেমে হয়েছিল হিমাঙ্কেরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। পরদিনই হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করেন, "নিষ্ঠুর আর দীর্ঘায়িত শৈত্যপ্রবাহ আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কী হল?" জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে আদৌ উদ্বিগ্ন নন - এবং তিনি যে বিশ্ব উষ্ণায়নের তত্ত্বে মোটেও বিশ্বাস করেন না, সে কথা আগেও বহুবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর সেদিনের টুইটেও ছিল তার সেই ভাবনারই প্রতিফলন। মি ট্রাম্পের সেই মন্তব্য নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের ঝড় বয়ে যেতে থাকে। হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি সুদূর আসামের সদ্য হাইস্কুল পাস করা ছাত্রী আস্থা শর্মাও। নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ট্যাগ করে আস্থা লেখেন, "আপনার চেয়ে আমি চুয়ান্ন বছরের ছোট। খুব গড়পড়তা নম্বর পেয়ে সবেমাত্র স্কুল পাস করে বেরিয়েছি, কিন্তু আমিও আপনাকে বুঝিয়ে দিতে পারি ওয়েদার কিন্তু ক্লাইমেট নয়!" এভাবেই উত্তর দিয়েছেন আস্থা "আপনি যদি জিনিসটা ভাল করে বুঝতে চান, তাহলে আমার এনসাইক্লোপিডিয়াটাও আপনাকে ধার দিতে পারি, যেটা ক্লাস টু থেকে আমার সঙ্গে আছে। ওখানে ছবি-টবি দিয়ে সবটা ভাল করে বুঝিয়ে বলা আছে।" আস্থার ওই টুইট সঙ্গে সঙ্গে 'ভাইরাল' হয়ে যায়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তাকে প্রশংসা করে টুইট করতে থাকেন অসংখ্য লোকজন। বেলজিয়ামের একটি প্রথম সারির নিউজ পোর্টাল আস্থার টুইট নিয়ে একটি স্টোরিও করে ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ওই তরুণী কেমন 'মুখের মতো জবাব' দিয়েছেন, তারই বর্ণনা দেওয়া হয় সেখানে। সব চেয়ে বেশি মন্তব্য আসতে থাকে মি ট্রাম্পের নিজের দেশ আমেরিকা থেকেই। ডন জোনস নামে একজন আমেরিকান লেখেন, "এতক্ষণে নিশ্চয় ওয়াশিংটন ডিসি-র তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গেছে! কারণ ট্রাম্পকে তো টুইটের আগুনে ঝলসে ফেলেছেন আস্থা শর্মা!" বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন আবহাওয়া (ওয়েদার) হল একটা তাৎক্ষণিক বা সাময়িক প্রক্রিয়া - কিন্তু কম করে অন্তত পঁয়ত্রিশ বছরের আবহাওয়ার রেকর্ড আর গড় নিয়েই কেবল একটা জায়গার জলবায়ু (ক্লাইমেট) নিয়ে মন্তব্য করা চলে। ভূগোলের এই অতি সাধারণ জ্ঞানটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর প্রয়োগ করেই রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন আসামের এক অতি সাধারণ তরুণী। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা | ট্রাম্পকে টুইটারে জ্ঞান দিয়ে ভাইরাল আসামের তরুণী |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | শ্রীভিজায়া এয়ারের একটি বোয়িং (ফাইল ফটো) ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী বলছে, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে সেই জায়গায় তারা তল্লাশি দল পাঠিয়েছে। স্থানীয় একজন জেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বিমান সাগরে ডুবে যেতে দেখেছেন। শ্রীভিজায়া এয়ারের বিমানটি রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর ত্যাগের পরই বিমানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, বিমানটি পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের পন্টিয়ানাক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। সোশাল মিডিয়ায় কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেগুলো দেখে নিখোঁজ ঐ বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি ২৭ বছর পুরোনো একটি বোয়িং ৭৩৭-৫০০। ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডারটুয়েনটিফোরডটকম জানাচ্ছে, বিমানটির উচ্চতা এক মিনিটের মধ্যে ৩,০০০ মিটার (১০,০০০ ফুট) পড়ে গিয়েছিল। একই ধরনের খবর: কোন কোন দেশে বিমান চলাচল সবচেয়ে বিপদজনক? বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ বিমান তৈরি আপাতত বন্ধ ঘোষণা শ্রীভিজয়া এয়ার স্থানীয় বিমান অপারেটার। তবে এই ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নয় যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। স্থানীয় বিমান সংস্থা লায়ন এয়ারের ফ্লাইটটি ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। শ্রীভিজায়া এয়ারের যাত্রী লাউঞ্জ। | ৬২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার বিমান |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | এখন পৃথিবীবাসীর আগ্রহের মূলে রয়েছে ভ্যাকসিন সেই নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও বয়স ও পেশা ভেদে অগ্রাধিকার তালিকা করা হবে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. তাহমিনা শিরিন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কোভিড-১৯ টিকা বিতরণের ব্যাপারে একটি জাতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী এখন কাজ করা হচ্ছে। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে আগে অনলাইন নিবন্ধনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কবে ও কীভাবে নিবন্ধনের কাজটি হবে, সে বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচি ও আইসিটি বিভাগ সহযোগিতা করবে। টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ বুথ স্থাপন করার কথা রয়েছে এই পরিকল্পনায়। জেলা বা উপজেলার হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যালয় কোভিড-১৯ টিকার বুথ হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা কোভিড-১৯ কমিটি নাগরিকদের পেশা, বয়স ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রেখে একটি অগ্রাধিকার তালিকা করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট অনুযায়ী তাদের নাম নিবন্ধন করা হবে। পেশাজীবীদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রও দিতে হবে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর মতো করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার সময়ও একটি কার্ড ব্যবহার করা হবে বলে পরিকল্পনায় রয়েছে। সেই কার্ডে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির নাম, পরিচয়, পেশা, জন্মতারিখ, ঠিকানা ইত্যাদির পাশাপাশি তার যেসব শারীরিক রোগ বা অসুস্থতা রয়েছে, তারও বিবরণ থাকবে। এই কার্ডে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য পৃথক রং ব্যবহার করা হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কবে আসছে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিতে মানুষের আগ্রহ কতটা? বাংলাদেশে তিন কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেবে সরকার করোনাভাইরাসের টিকা: মাইক্রোচিপ, ডিএনএ পরিবর্তন এবং অন্যান্য গুজব টিকা আবিষ্কারক কোম্পানিগুলো কি শত শত কোটি ডলার মুনাফা করতে যাচ্ছে? সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশে কবে আসবে টিকা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা আসতে পারে। তবে বাংলাদেশের বেক্সিমকোর কর্মকর্তারা এর আগে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশের বেক্সিমকো এবং ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার বিনামূল্যে এসব টিকা বিতরণ করবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বেক্সিমকো এবং ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে তারা যে পরিমাণ করোনাভাইরাসের টিকা কিনেছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে তারা যে টিকা পাবার আশা করছেন তার পরিমাণ হবে সব মিলিয়ে চার কোটি ৯০ লাখ ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার সরাসরি নিয়ে আসছে। এছাড়া জনসংখ্যার ২০ শতাংশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে টিকা দেবে সেটার জন্য হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াল 'মায়ের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে পরিকল্পিতভাবে শিশু সামিউলকে হত্যা' ইতিহাসের পাতা থেকে ভয়ঙ্কর সেই বছরগুলো উড়ন্ত গাড়ি বাজারে আসছে- যানজটের শহরগুলোর জন্য স্বস্তির বার্তা? ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। করোনাভাইরাসের টিকা কারা নেবেন আর কারা নেবেন না করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। সংস্থাটি বলছে, অতীতে যাদের কোন টিকা নেয়ার পর বড় ধরনের অ্যালার্জি হয়েছে বা কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, তাদের টিকা নিতে হলে বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। বিশেষ করে তাদের অবশ্যই টিকা নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। তবে যাদের খাবার বা পরিবেশে বা মুখে খাবার ওষুধে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের টিকা নিতে কোন সমস্যা নেই। | করোনা সুরক্ষা অ্যাপ: ভ্যাকসিনের জন্য যেভাবে অনলাইনে নিবন্ধন করবেন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই জি.এম. কাদের (ছবি: অক্টোবর ২০১৮) মি. এরশাদের শারীরিক অবস্থার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে মি. কাদের বলেন, "তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়, তবে গতকালের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।" চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মি. কাদের বলেন, "তাঁর ফুসফুসের ইনফেকশন কিছুটা ভাল হয়েছে, এছাড়া তার শ্বাসকষ্টও আগের চেয়ে কিছুটা কম হচ্ছে।" এছাড়া গতকাল পর্যন্ত মি. এরশাদকে যে হারে অক্সিজেন দেওয়া প্রয়োজন হচ্ছিল, আজ সেই তুলনায় কম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে বলে জানান মি. কাদের। তবে মি. এরশাদের কিডনির সমস্যা এখনো রয়েছে বলে জানান মি. কাদের। এরশাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার কারণে সোমবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। মি. কাদের বলেন, "সব মিলিয়ে বলা যায় তাঁর অবস্থা 'অপরিবর্তিত' আছে, এভাবে কিছুদিন চলতে থাকলে অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।" আরো পড়তে পারেন: ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের শেষভাগ 'অদ্ভুত': পিটারসেন 'ইমান অটুট রাখতে' বলিউড ছাড়ছেন জায়রা ওয়াসিম ইংল্যান্ড জেতায় দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান? 'বাচ্চাদের গলায় রাম দা ধরে বলে, সব দিয়ে দে' | এরশাদের শারীরিক অবস্থার 'উন্নতি হলেও শঙ্কামুক্ত নয়' |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | কমনওয়েলথ দেশগুলোর পতাকা নিয়ে কুচকাওয়াজ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈন্যের ঘাটতি দিনে দিনে এতটাই বাড়ছে যে নিয়োগের রীতি শিথিল করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, ভারত এবং বাংলাদেশ সহ ৫৩টি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকরা জীবনে কখনো ব্রিটেনে বসবাস না করলেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিজের দেশে বসেই আবেদন করা যাবে। এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে। ব্রিটেনের সেনাবাহিনীতে কমনওয়েলথের নাগরিকরা সবসময়ই যোগ দিতে পারেন। তবে শর্ত রয়েছে যে আবেদন করার আগে তাকে অন্তত পাঁচ বছর ব্রিটেনে বসবাস করতে হবে। ১৯৯৮ সালে এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হলেও ২০১৩ সালে সেই নীতি আবারো কার্যকর করা হয়। অবশ্য কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাসের শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয় ২০১৬ সালে। সে বছর থেকে পাঁচ বছর বসবাস না করেও বছরে বড়জোর ২০০ জন কমনওয়েলথ নাগরিককে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সেই শর্তও এখন তুলে নেওয়া হচ্ছে। নেটো বাহিনীতে ব্রিটিশ গোর্খা (নেপালি) সেনা সেনাবাহিনীতে লোকের ঘাটতি চরমে ব্রিটেনের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে লোকের ঘাটতি ৮,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্ত শিথিলের ফলে বছরে অতিরিক্ত ১৩৫০ জন সৈন্য নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে। ২০১৭ সালে এমপিদের এক রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের সঙ্কট সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছিল। কারণ হিসাবে তখন বলা হয়েছিল, ব্রিটেনে শারীরিক স্থূলতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে। এশীয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল ঐ রিপোর্টে । পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্তও শিথিলের সিদ্ধান্ত হলো। আরও পড়ুন: ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামাতে চান ট্রাম্প 'সংবিধানসম্মত' সমঝোতাতেই রাজী হবে ঐক্যফ্রন্ট? | ব্রিটেনে কখনো না এলেও ব্রিটিশ সেনা হওয়া যাবে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাযা। ইসরায়েল বলেছে তারা হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মেদ দেইফকে "কয়েকবার" হত্যার চেষ্টা করেছে। গত রাতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো দু'জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাযা থেকে বিবিসির একজন সংবাদদাতা রুশদি আবুলাউফ বলেছেন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দিয়ে ৭০টিরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় ৫০টি হামলা হয়েছে গাযার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে। এসময় হামাসের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও নিরাপত্তা স্থাপনাতেও আক্রমণ করা হয়। বুধবার সকালেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, তারা হামাসের ব্যবহৃত একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিদাই জিলবারমান বলেছেন, "পুরো অভিযানের সময় তারা মোহাম্মেদ দেইফকে হত্যার জন্য কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছেন।" হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মেদ দেইফ। এর আগেও তাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হয় যে তিনি নেপথ্যে থেকেই সবকিছু পরিচালনা করেন এবং তার অবস্থান সম্পর্কে তেমন একটা জানা যায় না। আরো পড়তে পারেন: ফিলিস্তিন ইসরায়েল লড়াই কেন বাইডেনের বড় মাথাব্যথার কারণ হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে হার-জিত লাভ-ক্ষতির সমীকরণ গাযায় যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হামাসের ছোঁড়া রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল। এদিকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাযা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং হামাস বলছে যে তারা দক্ষিণের একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হামাস বলছে এই ঘাঁটি লক্ষ্য করে এটি তাদের দ্বিতীয় হামলা। কিন্তু ইসরায়েল এখবর অস্বীকার করেছে। এই সহিংসতার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তবে এখনও পর্যন্ত তাতে খুব সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়ে ফ্রান্স, মিশর এবং জর্ডান একসাথে হয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। তবে এটি শুধুই খসড়া। ফ্রান্স বলছে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর মধ্যে এক ভিডিও সম্মেলনে প্রস্তাবের এই খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের ঢাকার আকাশে রহস্যময় মিথেন গ্যাসের উৎস কী? ইউরোপে যাবার পথে নৌকা ডুবি, উদ্ধার করা ৩৩ জনের সবাই বাংলাদেশি যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়ার উদ্যোগে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলের দীর্ঘ দিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, এই বিবৃতি উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করবে না। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে বিবিসিকে বলা হয়েছে তাদের সামরিক অভিযান "পুরো দমে চলবে এবং যুদ্ধবিরতির বিষয় আলোচনায় নেই।" এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেজেব তাইয়িপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে বুধবার সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। মি. এরদোয়ান এর আগে বলেছেন যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর "সন্ত্রাস" চালাচ্ছে এবং "এটাই তাদের স্বভাব।" পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এলাকাটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে গাযা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রকেট ছুঁড়তে শুরু করে। এর জবাবে গাযায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাযায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে এই দশদিনের যুদ্ধে কমপক্ষে ২১৯ জন নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন নারী ও শিশু। ইসরায়েল বলছে তারা গাজায় দেড়শ জন "জঙ্গিকে" হত্যা করেছে। এবিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। ইসরায়েলে চিকিৎসা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে দু'জন শিশুসহ ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, গাজা থেকে হামাস ৩,৭৫০টি রকেট ছুঁড়েছে। 'সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতেই ইসরায়েলের এই হামলা' | ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সহিংসতা: হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টা, স্থবির যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | মে'র ৪ তারিখ থেকে বাংলাদেশে চলছে মাদকবিরোধী অভিযান বলা হয়, শনিবার থেকে রোববারের মধ্যে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, যশোর, বরিশাল ও ফেনী জেলায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় এ ঘটনাগুলো ঘটেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ মাসের চার তারিখ থেকেই পুলিশ ও র্যাব মিলে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানে গত ১৫ দিনে বিশেষ পুলিশ র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আরো ১২ জন নিহত হয়েছে। এর ফলে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হবার পর রোববার পর্যন্ত মোট ১৮ জন নিহত হবার কথা নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতরা সবাই মাদকব্যবসা এবং পাচারের সাথে জড়িত এবং চিহ্নিত অপরাধী। তাদের নামে মামলাও রয়েছে বলে জানান তারা। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযান চালানোর সময় মাদকব্যবসায়ী বা পাচারকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাল্টা গুলি ছুঁড়েছে। এর পর আত্মরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, মাদকব্যবসার সাথে সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত হয়ে পড়েছে এবং যেখানেই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে সেখানেই তারা আক্রমণ করে বসছে। "আক্রমণ করলে তো পাল্টা আক্রমণ হবেই, সেই কাউন্টার এ্যাটাকেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে" - বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবিসি বাংলায় আরো দেখুন: বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে পুলিশের ভাষ্যই বিশ্বাস করবে মিডিয়া? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবাসহ অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। মি. খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেভাবে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা ঠেকাতে তারা বহুভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রোববার মাদকবিরোধী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে মানুষকে সচেতন করতে আজ নিরাপত্তা বাহিনী ঢাকায় স্টিকার বিতরণ কর্মসূচি পালন করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হিটলার কি আসলেই ১৯৪৫ সালে মারা গিয়েছিলেন? মাসিহ'র হিজাব না পরা এবং তারপর হাওয়াই দ্বীপে আগ্নেয়গিরিতে প্রকৃতির খেলা কোলকাতায় হকার উচ্ছেদের বিকল্প উদ্যোগ | বাংলাদেশে পুলিশ ও র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান: ১৬ দিনে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১৮ জন |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি এবং পয়:নিষ্কাশন, দুর্যোগ-ঝুঁকি মোকাবিলা এবং সামাজিক সুরক্ষা - ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সহায়তা কাজে লাগানো হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের বাংলাদেশ সফরের ঠিক আগেএ অনুদানের কথা ঘোষণা করা হলো। গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেদেশের সেনাবাহিনী এক সশস্ত্র অভিযান শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মুখে শোনা গেছে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের বর্ণনা। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে এ ঘটনাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরকে এখন 'পৃথিবীর বৃহত্তম' বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সংকটজনক প্রকৃতি বিবেচনায় এনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে চলমান স্বাস্থ্য খাতের সহায়তা-প্রকল্পে আরো ৫ কোটি ডলার অতিরিক্ত অনুদান অনুমোদন করেন বিশ্বব্যাংকের পরিচালকমন্ডলী। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি একটি ধারাবাহিক অনুদানের অংশ যার সর্বমোট পরিমাণ শেষ পর্যন্ত ৪৮ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, বাংলাদেশ এই মানবিক সংকটে দারুণ নেতৃত্ব দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আলোচনা চললেও তাতে এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হলে কী করবে বাংলাদেশ? বিশ্বকাপ ২০১৮: গ্রুপ পর্বের সেরা মুহূর্ত, সেরা চরিত্র কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি নতুন সংশয় তৈরি করলেন? | বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৪৮ কোটি ডলারের সাহায্য |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | রিফাত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়। এই মামলায় মোট ২৪ জন আসামীর মধ্যে ১০ জনের রায় দেয়া হয়েছে, বাকি ১৪ জন আসামী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে। অভিযুক্ত দশজনের মধ্যে নয় জন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। এই নয় জনের মধ্যে ছিলেন নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, যিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। রায় ঘোষণার বেশ কিছুক্ষণ আগেই আদালতে উপস্থিত হন। মিন্নি শুরুতে মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন, পরবর্তীতে তাকেও মামলার আসামী করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভূবন চন্দ্র হাওলাদার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মিন্নির আইনজীবী মাহবুব বারী আসলাম। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি জানান যে এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও বলেছেন তারা রায়ে সন্তুষ্ট নন এবং উচ্চ আদালতে যাবেন। আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ছিলেন মামলার প্রধান সাক্ষী। পরে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। যে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান সুনির্দিষ্ট সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন: ১. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী ২. আল কাইয়ুম রাব্বি ৩. মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ৪. রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ৫. মোহাম্মদ হাসান ৬. আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি যে চারজন খালাস পেয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন: ১. মোহাম্মদ মুসা ২. রাফিউল ইসলাম রাব্বি ৩. কামরুল ইসলাম সায়মন ৪. সাগর এই কলেজের সামনেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন, যিনি 'নয়ন বন্ড' নামে পরিচিত, জুলাই মাসের দুই তারিখে পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন। পনের মাস আগে গত বছরের ২৬শে জুন বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় দিনের বেলা কয়েকজন যুবক রিফাত শরীফের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। রিফাত শরীফের সাথে সে সময় তার স্ত্রী মিন্নিও ছিলেন। ওই সময় তার স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে একাই দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ভিডিও ফুটেজে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন বলে ভিডিওতে দেখা যায় এবং এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয় যখন হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পরে রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে নিহত রিফাত শরীফের বাবা তার ছেলে হত্যার সাথে মিন্নির জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। আরো পড়তে পারেন: 'চিৎকার করেছি, সবাইকে বলেছি - ওরে বাঁচান' 'মিন্নির পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' ব্যক্তিগত কারণেই খুন হয়েছে রিফাত, বলছে পুলিশ | রিফাত হত্যা: বরগুনার আলোচিত হত্যা মামলায় মিন্নি সহ ছয় জন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | জোর করে বন্ধ্যা-করনের শিকার নারীদের জন্য প্রতিবাদ। সেখানে একটি ঘরে জড়ো হয়েছেন একদল নারী। যাদের সবার গল্প কিছুটা একই রকম। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বন্ধ্যা করে দেয়া হয়েছে। হোসেফিনা খিসফে তাদের একজন। তিনি বলছেন, "একদিন সকালে আমি আমার রান্নাঘরে রান্না করছিলাম। দুজন নার্স আমার দরজায় এলো। ওরা আমাকে বলল, তুমি আমাদের ক্লিনিকে একটু আসবে? তোমার সাথে আমাদের কিছু কথা আছে" হোসেফিনা বর্ণনা করছিলেন এরপর কি হল, "ওরা আমাকে একটি ঘরে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো আমার কটা বাচ্চা। আমি বললাম পাঁচ। ওরা আমাকে বলল, আর কতকাল তুমি শুয়োরের মতো এমন বাচ্চা পয়দা করবে? আমি কাঁদতে আরম্ভ করলাম। কয়েকজন নার্স মিলে জোর করে আমার কাপড় খুলে আমাকে সাদা একটা রোব পরিয়ে দিলো" হোসেফিনাকে একটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছিলো। জ্ঞান ফেরার পরও তিনি বুঝতে পারেন নি আসলে তার সাথে কি অন্যায় ঘটে গেছে। শুধু এই এলাকাতেই দুই হাজার নারীকে এভাবে কায়দা করে বন্ধ্যা করে দেয়া হয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির শাসনামলে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ নারীকে বন্ধ্যা করা হয়েছে যা স্বেচ্ছায় হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক নারীই অভিযোগ করছেন তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এমন ঘটনা শিকার মূলত গ্রামীণ নারীরা। প্রায় তিন লাখ নারীকে বন্ধ্যা করা হয়েছে যা স্বেচ্ছায় হওয়ার কথা ছিলো। তাদের একটি বড় অংশ আদিবাসী। কনসেপসিওন কনটয় গিয়েছিলেন স্থানীয় হাসপাতালে সন্তান প্রসব করতে। তিনি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন, "আমার ছেলেটা জন্ম হওয়ার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। আমার জ্ঞান ফিরল পরদিন সকাল সাতটার দিকে। আমি টের পেলাম আমার পেটে একটা অংশ কাটা।" "আমার স্বামী আমাকে দেখতে এলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ওরা আমার কি করেছে। আমার পেট কাটা কেন? আমার স্বামী ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করতে গেলে ওরা তাকে বলল, তোমার স্ত্রীর ভিটামিন দরকার। এখন তাড়াতাড়ি এই কাগজটায় সই করো" সেখানকার আদিবাসীরা মূলত কেচুয়া ভাষায় কথা বলেন। স্প্যানিশ ভাষায় লেখা কাগজে লেখা সেটি না বুঝেই সই দিয়েছিলেন কনসেপসিওনের স্বামী। তিনি জানতেও পারেন নি তিনি আসলে বন্ধ্যা-করনের কাগজে সই করছেন। পেরুতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন হাজার হাজার নারীকে এভাবে জোরপূর্বক বন্ধ্যা-করনের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির বিচার হবে কিনা। এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন রাষ্ট্র-পক্ষের কৌসুলি। আলবার্তো ফুজিমোরির শাসনামলে জোর করে নারীদের বন্ধ্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পেরুতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মারিনা নাভারো। তিনি বলছেন, "যেসব নারীকে জোর করে বন্ধ্যা করা হয়েছে, তাদের প্রতি যে অবিচার হয়েছে তার বিচারের প্রথম ধাপ হল আলবার্তো ফুজিমোরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের" কিন্তু হাজার হাজার নারীর ক্ষতিপূরণের কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। এত কিছুর পরেও পেরুতে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা মনে করনে না এখানে কোন অন্যায় হয়েছে। তাদের একজন ফুজিমোরির রাজনৈতিক দলের কংগ্রেসম্যান কার্লোস টুবিনো। তিনি বলছেন, "ফুজিমোরি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন সরকার এমন কোন আদেশ জারি করে নি। কাউকে যদি বন্ধ্যা করা হয় তাহলে তা তাদের ইচ্ছেতেই করা হয়েছে। আর কাউকে যদি জোর করে বন্ধ্যা করা হয় তার জন্যে একটি দেশের রাষ্ট্রপতি দায়ী নন" সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি এখন মৃত্যুপথযাত্রী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে তার বিচার হয়ত হবে না। কিন্তু অন্তত অভিযোগ যে দায়ের হয়েছে তাতে আশার সঞ্চার হয়েছে হাজার হাজার নারীর মনে। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনের আগে কেন সহিংসতা পাকিস্তানে ক্রোয়েশিয়া: যে পাঁচটি তথ্য হয়তো জানা নেই লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন কানটে ফ্রান্সের নেপথ্য নায়ক | পেরুতে আলবার্তো ফুজিমোরির শাসনামলে জোরপূর্বক বন্ধ্যা করে দেয়া হয়েছে এমন নারীদের গল্প |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | এই জাহাজে থাকা চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর কাভার্ড ভ্যানে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশে যাবে। রবিবার ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এমভি সেঁজুতি নামের জাহাজটি মোট ২২১টি কন্টেইনার রয়েছে। তার মধ্যে ১১৭টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। অপর চারটি কন্টেইনার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। ট্রান্সশিপমেন্ট হচ্ছে তৃতীয় একটি দেশের বন্দর ও পরিবহন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী বা অন্য কোন দেশের পণ্য পরিবহন করা। এর ফলে কোন একটি দেশ তাদের পণ্য তৃতীয় একটি দেশের বন্দর, সড়ক বা রেল অর্থাৎ যানবাহন ব্যবহার করে নিজের দেশের আরেক অংশে বা অন্য কোন দেশে পাঠিয়ে থাকে। এজন্য তাদের সব খরচ বহন করতে হয়। কী রয়েছে চালানে? পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে আসা প্রথম চালানের দুই কন্টেইনারে রয়েছে লোহার বার (টিএমটি বার) এবং দুই কন্টেইনারে ডালজাতীয় পণ্য রয়েছে। লোহার বার যাবে ভারতের ত্রিপুরায় আর ডালবাহী কন্টেইনার যাবে আসামে। সব মিলিয়ে এসব কন্টেইনারে ১০০ টনের মতো পণ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে এমভি সেঁজুতির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গোলাইন। আরো পড়ুন: বিশ্ব তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর কেন পিছিয়ে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? হাসিনার দিল্লি সফরে কী পেল বাংলাদেশ? ট্রানজিট ইস্যুতে উত্তাপ কোথায় হারালো? হুগলী নদীর তীরে কলকাতা বন্দর যে চুক্তির আওতায় পণ্য পরিবহন ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে 'এগ্রিমেন্ট অন দি ইউজ অফ চট্টগ্রাম এন্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অফ গুডস টু এন্ড ফ্রম ইন্ডিয়া' চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারত তার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় মালামাল পরিবহন করার সুযোগ পাবে। এজন্য তারা বন্দর ও পরিবহন ব্যবহারের খরচ বহন করবে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে। সব মিলিয়ে কন্টেইনার প্রতি মাসুলের পরিমাণ ৪৮ ডলারের মতো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, চুক্তির আওতায় পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনারের ট্রায়াল রান উপলক্ষে বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতীয় পণ্য কি বেশি গুরুত্ব পাবে? চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ জাফর আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বার্থিংয়ের বর্তমান যে নিয়ম রয়েছে, সেই অনুযায়ীই এসব জাহাজের বার্থিং হবে। অর্থাৎ যে জাহাজটি আগে আসবে, সেটি আগে জেটিতে ভিড়বে। বাংলাদেশ-ভারতের চুক্তির আর্টিকেল ফাইভের পোর্ট অ্যান্ড আদার ফ্যাসিটিলিজ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য আমদানি রপ্তানির তুলনায় ভারতীয় পণ্যকে কম সুযোগ-সুবিধা দেয়া যাবে না এবং বন্দরে জায়গা থাকলে পরিবহনের পণ্য রাখার জন্য প্রায়োরিটি ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের কোন কোন দৈনিকে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের জাহাজ একসঙ্গে এলে মাল খালাসের ক্ষেত্রে ভারতীয় জাহাজের পণ্য আগে গুরুত্ব পাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মি. আলম বলছেন, সেরকম কোন বিষয় নেই। ফিডার জাহাজের ক্ষেত্রে যেই জাহাজ আগে আসবে, তারাই আগে বার্থিং করবে। চুক্তিতে ভারতীয় জাহাজের প্রায়োরিটি বার্থিংয়ের কোন ইস্যু নেই। এক্ষেত্রে ভারতীয় জাহাজ আলাদা বাড়তি কোন সুবিধা পাবে না বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, কোন জাহাজ যখন আসে, তখন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে মিলে প্রতিদিন মিটিং হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কোন জাহাজটা আগে বার্থিং পাবে। সেখানে অনেক দিনের প্রতিষ্ঠিত কতগুলো নিয়ম আছে। সেখানে যেমন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ হলে গুরুত্ব পায়, খাদ্যবাহী জাহাজ গুরুত্ব পায়। কিন্তু এই চুক্তির আওতায় জাহাজের গুরুত্ব পাওয়ার বিষয়য়ে কোন কিছু বলা নেই। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক বলছেন, ''তবে চুক্তিতে একটা বিষয় বলা আছে যে, আমাদের যদি পর্যাপ্ত জায়গা খালি থাকে, তাহলে তারা তাদের কার্গো রাখার জন্য প্রায়োরিটি ভিত্তিতে সুবিধা পাবে। কিন্তু জাহাজের মালামাল খালাসের ক্ষেত্রে আলাদা কোন সুবিধা পাওয়ার বিষয় নেই।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিএসএফ-বিজিবি প্রকাশ্য রেষারেষি: বৃহত্তর কোনো বিরোধের ইঙ্গিত? অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস টিকা নিরাপদ ও রোগ ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিশীল ব্রিটেন-চীন সম্পর্ক: সোনালি দশক থেকে শীতল যুদ্ধে? বাংলাদেশে করোনা টেস্টের প্রতি অনাগ্রহ বাড়ছে কেন? চট্টগ্রাম বন্দর সুবিধা নাকি অসুবিধা? ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় পণ্য পরিবহন হলে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের ফলে একদিকে যেমন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে কন্টেইনারের পরিবহন বাড়বে, ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজস্ব বিভাগ বাড়তি অর্থ আয় করতে পারবে। পাশাপাশি এসব কন্টেইনার বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহার করে সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। তারাও বাড়তি অর্থ আয়ের সুযোগ পাবেন। ফলে রেমিট্যান্সও বাড়বে। এমনটাই বলছেন অনেকে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলছেন, ''চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য আনা-নেয়া করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবহৃত হওয়ায় সেখানেও আয় বাড়বে। কিন্তু বন্দরের জন্য প্রয়োজন সাপেক্ষে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।'' তবে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যবসায়ীর আশঙ্কা, পুরোদমে ভারতীয় ট্রানজিট পণ্যের চলাচল শুরু হয়ে গেলে বন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলছেন, ''এমনিতেই এই বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য বুঝে পেতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অনেক সময় লাগে। ঈদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্দরে জাহাজ জট লেগে যায়, যা কাটাতে কয়েকমাস সময় লেগে যায়।" "সেখানে যদি ভারতীয় জাহাজ কোন অগ্রাধিকার পায়, তখন সেটা আমাদের দেশীয় আমদানি বা রপ্তানিকারকদের মালামাল খালাসে সময় বেশি লাগবে, যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা।'' | ট্রান্সশিপমেন্ট: চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ভারতের প্রথম চালান, ভারতীয় পণ্য কি বেশি গুরুত্ব পাবে? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | এ ধরণের সাইট থেকেই অর্ডার দিয়ে পছন্দনীয় পণ্য কেনা যায়, নেয়া যায় বিভিন্ন ধরণের সেবা। ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধের কিছু ব্যবস্থা থাকলেও তার সংখ্যা কম। অনলাইনের নিয়মিত ক্রেতা ধানমণ্ডির সোহানা ইয়াসমিন বলছেন, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে তিনি 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' বা পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ করতে পছন্দ করেন। "তাতে সুবিধা হলো, টাকা পরিশোধ করে কবে জিনিসটা পাবো, টাকা মার যাবে কিনা, ইত্যাদি দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় না। জিনিস বুঝে নিয়ে, ঠিক আছে কিনা দেখে আমি টাকা দিতে পারি।'' তিনি বলছেন, পরিচিত কয়েকজন অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি বড় অনলাইন শপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও তিনি দেখতে পেয়েছেন। এ কারণে 'ক্যাশ অন ডেলিভারির' সুযোগ না থাকলে তিনি আর কোন পণ্যই কেনেন না। তবে আরেকজন নিয়মিত ক্রেতা নাজমুন নাহার অবশ্য উভয় পদ্ধতিতেই কেনেন। ''পরিচিত, নামী বা আগে কিনেছি, এমন অনলাইন শপ থেকে পণ্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেক সময় আগে দাম পরিশোধ করি। তবে আমি স্বস্তি বোধ করি ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রেই। জিনিস পেলাম, টাকা দিলাম, সেটাই তো ভালো।'' তিনি বলছেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তিনি অবশ্য অনেকগুলো অর্ডারে আগে দাম পরিশোধ করে দিয়েছেন, যাতে ডেলিভারি ম্যানের সঙ্গে কথা বলতে না হয়। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মূলত কয়েকটি কারণে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' পছন্দ করেন। বাংলাদেশের অনলাইনে বেশিরভাগ বিক্রি হচ্ছে 'ক্যাশ অন ডেলিভারির' ভিত্তিতে যেভাবে অনলাইন বিক্রি করা হয় বাংলাদেশে চালু থাকা অনেকগুলো অনলাইন প্রতিষ্ঠান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সেখানে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংক একাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে মাধ্যমে সরকারি মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য ছাড় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি বা পণ্য হাতে পেয়ে পরিশোধের ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেক সময় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান পণ্যটি সরবরাহ করে টাকা নিয়ে আসেন। প্রধানত ঢাকায় এই সেবাটি পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পণ্য বুঝে নেয়ার সময় টাকা পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ অনলাইন ব্যবসা হচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে ১৩০০। তবে সংগঠনটির হিসাবে, অনিবন্ধিত ও ফেসবুক মিলিয়ে লক্ষাধিক ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চাল, ডাল, তেল, ডিম থেকে শুরু করে পারিবারিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়, এমন একটি ই-কমার্স সাইটের কর্মকর্তা ইফফাত ই ফারিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমাদের এখানে প্রায় সব গ্রাহকই 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' পদ্ধতিতে কিনে থাকেন।'' তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, ''ক্রেতারা যে জিনিসটি কেনা হচ্ছে, সেটার মান কেমন, যা বলা হয়েছে, সেটা দেখা হয়েছে কিনা, সেটা যাচাই করে দেখে নিতে চান। আমরাও চাই না, সরবরাহ করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করুক। কারণ একটা অভিযোগ আমাদের পুরো গুডউইল নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আমরা চাই তারা জিনিস বুঝে পেয়ে, দেখেশুনে দাম পরিশোধ করুক।'' তিনি মনে করেন, গত কয়েক বছরে ই-কমার্স এতো বড় হয়েছে, সেখানে সবাই মান ধরে রাখতে পারছে না। অনেকেই যেভাবে পারছে, নিম্নমানের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। এ কারণে মানুষও এখন অন্ধভাবে ই-কমার্স সাইটগুলোকে বিশ্বাস করছে না। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম নির্ভর একটি অনলাইন শপের মালিক আনিকা বুশরার। তিনি বলছেন, ''করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে বেশিরভাগ মানুষ 'ক্যাশ অন ডেলিভারি নিতে চাইতেন। এখনো অনেকে নেন। কিন্তু গত কয়েকমাসে অনেকেই অগ্রিম পেমেন্ট করতে শুরু করেছেন। কারণ তারা ডেলিভারিম্যানের সংস্পর্শে আসতে চান না। তাই তারা আগেভাগে দাম পরিশোধ করে দেন যাতে তাদের মুখোমুখি হতে না হয়।'' তিনি বলছেন, ঢাকার ভেতরে এখনো ক্যাশ অন ডেলিভারি রয়েছে। তবে ঢাকার বাইরে পণ্য গেলে অন্তত অর্ধেক দাম আগে পরিশোধ করার জন্য তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিছু কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বা প্রতারণার কারণে পুরো সেক্টরের প্রতি মানুষের আস্থা নিয়ে একটা সঙ্কট রয়েছে বলে তারা মনে করেন। ''কিছু মানুষের মনোভাব হচ্ছে, ই-কমার্স খুব ভালো, তারা বিশ্বাস করেন, আগে দাম দিতে চান। আবার কিছু মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে, তারা হয়তো খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে, তাই এখন আর ই-কমার্স সাইটগুলোকে বিশ্বাস করেন না। পুরো বিষয়টা নির্ভর করে আসলে কে কেমন সেবা পেয়েছেন, সেটার ওপরে,'' বলছেন ইফফাত ই ফারিয়া। করোনা ভাইরাস: কেমন করছে বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো? পুরো আস্থার জায়গাটা তৈরি হয়নি বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স বাজারের আকার ছিল ১৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকার। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার অনলাইনে পেমেন্ট হয়েছে। অর্থাৎ ই-কমার্স ব্যবসা বলা হলেও, শুধুমাত্র পণ্যের অর্ডারটি অনলাইনে হচ্ছে। বাকি লেনদেন হচ্ছে নগদে। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বিবিসিকে বলছেন, ''বাংলাদেশে এখনো বেশিরভাগ ই-কমার্স হচ্ছে নগদ লেনদেনের ভিত্তিতে। অ্যাডভান্সড পেমেন্ট বা কার্ডে পেমেন্টের হার এমনিতে কম, তবে এই মহামারির সময় সেটা বেশ বেড়েছে। তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে অবশ্য অগ্রিম বা কার্ডে পেমেন্ট বেশি হয়, যদিও কিছু কিছু দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু আছে। তিনি বলছেন, সেসব দেশে কিছু সার্ভিস কাজ করে, যারা বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে নিরাপত্তা হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ ক্রেতার পণ্য নিয়ে অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে তখন এসব প্রতিষ্ঠান সমাধানের ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সেটা তৈরি হয়নি। আবার সবার ব্যাংক কার্ডও থাকে না। অনেক সময় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ক্রেতারা অনলাইনে আগে দাম পরিশোধ করতে চান না। বিধিবিধান জনিত নানা সীমাবদ্ধতার কারণেও অনলাইন পেমেন্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি বলে তিনি মনে করেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কারণে আস্তে আস্তে অনলাইন পেমেন্টের হার বাড়ছে বলে তিনি জানান। | ই-কমার্স: বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটায় 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' যে কারণে জনপ্রিয় |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া - মি. মোমেন যাকে বর্ণনা করেছেন ইমার্জেন্সি কোভিড ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি হিসেবে - ভারতকে বাদ দিয়েই হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান যে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশকে এই কাঠামোতে যোগ দিতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ চীনের নেতৃত্বে ছয়টি দেশ নিয়ে গঠিত হতে পারে ইমার্জেন্সি কোভিড ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর সাউথ এশিয়া। যে পাঁচটি দেশকে চীন প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলো হলো আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভিন্ন তথ্য বাংলাদেশে কি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন সম্ভব? বাংলাদেশে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা, রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা মি. মোমেন বলেন যে বাংলাদেশ এই কাঠামোতে যোগ দিতে 'নীতিগতভাবে সম্মতি' জানিয়েছে এই বলে যে ঢাকার এই স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে যোগ দিতে কোন আপত্তি নেই। সম্মতি জানিয়েছে প্রস্তাব পাওয়া অন্য দেশগুলোও। তিনি বলেন, "অনেক সময় বিভিন্ন দেশে হঠাৎ হঠাৎ ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা যায়। তখন তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে টিকার দরকার হতে পারে। এজন্য চীন এমন একটি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে চায়, যাতে জরুরি সময়ে এই স্টোরেজ থেকে টিকা সরবরাহ করে প্রয়োজন মেটানো যায়।" বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জন্য এখন সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রতিবেশী ভারতের ওপর। কিন্তু দেশটি বর্তমানে টিকা রপ্তানী বন্ধ রেখেছে, ফলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি পুরোপুরি অনিশ্চয়াতার মধ্যে পড়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ এখন বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আপাতত ভারতকে বাদ দিয়ে ইমার্জেন্সি কোভিড ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি তৈরি করার এই উদ্যোগ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে বলে বাংলাদেশের মন্ত্রী জানান। এই উদ্যোগ থেকে ভারত শেষ পর্যন্ত বাদ থাকবে কি-না, এমন এক প্রশ্নে মি. মোমেন বলেন যে ঢাকা এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও জানে না, কারণ প্রস্তাবটি এসেছে চীনে পক্ষ থেকে এবং তারাই এনিয়ে বলতে পারবে। সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯-এর টিকা সবার জন্য সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেকদিন ধরে একই কথা বলে আসছেন। চীন এখন চাইছে, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে যদি কোভিড ১৯-এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে দরকার হয়, তাহলে যেন তা দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করা যায়। তবে এই স্টোরেজ সুবিধা কোন দেশে তৈরি হবে, সেটা এখনও নির্ধারণ হয়নি এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান মি. মোমেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে চীনা সরকারের কাছে বাংলাদেশ বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ টিকা সংগ্রহের জন্য সব দেশের সাথে যোগাযোগ রাখবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। | করোনা ভাইরাস: ভারতকে বাদ রেখে দক্ষিণ এশিয়ায় টিকার স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি তৈরিতে চীনের প্রস্তাবে বাংলাদেশের সায় |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | আর একটি তুর্কি সৈন্যের গায়ে আঁচড় লাগলে সিরিয়ার রেহাই নেই - প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত ১০ দিনে ইদলিবে বিদ্রোহীদের টার্গেট করে সিরিয় সৈন্যদের হামলায় কমপক্ষে ১২ জন তুর্কি সৈন্য নিহত হবার ঘটনায় ভয়ানক ক্ষেপে গেছে তুরস্ক। মঙ্গলবারের পর আজও (বুধবার) প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়াকে হুমকি দিয়েছেন। তুরস্কের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক সভায় ভাষণে মি এরদোয়ান বলেন, আর একটি তুর্কি সৈন্যের গায়ে আঁচড় লাগলে সিরিয়ার রক্ষা নেই। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এবং রয়টরস বলছে, "অমি ঘোষণা করছি যে এখন থেকে একজন তুর্কি সৈন্যও যদি আহত হয়, তাহলে সিরিয়ার যে কোনো জায়গায় তাদের সৈন্যদের ওপর আঘাত করা হবে।" "যে কোনো পন্থায়, তা আকাশ পথে হোক আর স্থলপথে, কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই ব্যবস্থা নেয়া হবে।" রাশিয়াকেও ছাড় দেননি এরদোয়ান শুধু সিরিয়াকেই হুঁশিয়ার করে ক্ষান্ত হননি মি এরদোয়ান। আজ প্রথমবারের মত সরাসরি তিনি রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া ইদলিবে "গণহত্যা" চালাচ্ছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে, এবং বেশ কিছুদিন ধরেই ইদলিবের আকাশের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতেই, এবং বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান হামলাগুলো করছে প্রধানত রুশ যুদ্ধবিমান। সুতরাং সিরিয়ার যে কোনো জায়গায় প্রয়োজনে আকাশপথে সিরিয়ার সৈন্যদের টার্গেট করার হুমকি দিয়ে মি. এরদোয়ান পরোক্ষভাবে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়াকেও রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। ইডলিবের বিনিশ শহরে বিপুল সৈন্য এবং অস্ত্র সমাবেশ করছে তুরস্ক শুধুই কি হুমকি? ইদলিব নিয়ন্ত্রণ করছে যে সব সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী তার সিংহভাগই তুরস্ক সমর্থিত। গত বছর রাশিয়া এবং ইরানের সাথে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে, ইদলিবে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে তুরস্ক ১২টি 'সামরিক পর্যবেক্ষণ' ছাউনি স্থাপন করে। এই ছাইনিগুলোর বেশ কয়েকটি এখন সিরিয় সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শুধু কি মুখেই হুমকি দিচ্ছেন, নাকি সত্যিই তিনি সিরিয়ার সাথে পুরাদস্তুর লড়াইতে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত করে কিছু ধারণা করতে পারছেন না। তবে সংবাদদাতারা বলছেন, গত কদিন ধরে ইদলিবে নতুন করে অতিরিক্ত সৈন্য এবং ভারি অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে তুরস্ক। ইদলিব থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বুধবার ভারি সাঁজোয়া যানবাহনের একটি তুর্কি কনভয় ইদলিবের বিনিশ নামক একটি শহরে ঢুকেছে। এছাড়া, তুরস্কের সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে, গত কদিনে তুরস্ক ইদলিবে নতুন করে শত শত ট্যাংক এবং হাজার হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সিরিয়ার একটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে নামানোর যে ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে তুরস্কের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া, তুরস্ক দাবি করছে গত কদিনে তারা সিরিয়ার ১১৫টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যাতে কমপক্ষে একশ সৈন্য মারা গেছে, যদিও সিরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। ইডলিবের দখল নেয়া একটি শহরে সিরিয় সৈন্য। প্রদেশের একের পর এক শহর ও গ্রাম থেকে বিদ্রোহীরা পালাচ্ছে। মস্কোর গতিবিধি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই হুমকি-ধামকি এবং লড়াইয়ের পাঁয়তারা রাশিয়া যে ভালোভাবে নেবেনা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, ইদলিব পুন:দখলে ইরানের পাশাপাশি রাশিয়া প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু একইসাথে মস্কো হুঁশিয়ার করেছে, সিরিয় সৈন্য এবং রুশ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে "যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড" গ্রহণযোগ্য নয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আজ (বুধবার) রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইদলিবের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে তুরস্কের একটি প্রতিনিধিদল খুব শীঘ্রি মস্কো যাবে। ওদিকে, তুরস্কের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে রুশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় সিরিয় সৈন্যরা ইদলিবে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত কদিনে সিরিয় সৈন্যরা ইদলিবের ৬০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন শহর এবং গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এই অভিযান নিয়ে সিরিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে পুরাদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয় কিনা - তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘের হিসাবে ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ইদলিবে প্রায় আট লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তুরস্ক এবং সিরিয়ার মধ্যে এমনকী স্বল্প-মাত্রার লড়াই হলেও শরণার্থী পরিস্থিতি নতুন করে ভয়ানক রূপ নেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। | সিরিয়া সংকট: তুরস্কের এরদোয়ান হুঁশিয়ার করে বললেন, ‘সর্বত্র’ সিরিয় সৈন্যদের মোকাবেলা করা হবে |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | লাল কিউপিড দিয়ে ভালবাসা প্রকাশ করা হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে। কে ছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন? একজন বিখ্যাত সেইন্ট বা ধর্ম যাজকের নাম থেকে দিনটি এমন নাম পেয়েছে। তবে তিনি কে ছিলেন - তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প রয়েছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে জনপ্রিয় বিশ্বাস হল তিনি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন। সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীর প্রেম শেষ হল ভারতে প্রেম, বিয়ে - অতঃপর বন্দী আর শঙ্কার জীবন পরকীয়া প্রেম কি অপরাধ, প্রশ্ন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ক্লডিয়াস যখন এই খবর জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান। যেখানে লেখা ছিল, "তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে"। ইংরেজিতে লেখা ভালোবাসা দিবসের প্রাচীনতম বার্তা। এটি ১৪৭৭ সালে লেখা হয়েছিল ভ্যালেন্টাইন'স ডে কীভাবে শুরু হয়েছিল? প্রথম ভ্যালেন্টাইন'স ডে ছিল ৪৯৬ সালে। একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালনের বিষয়টি বেশ প্রাচীনকালের ঐতিহ্য, যা রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। রোমানদের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে লুপারকালিয়া নামে একটি উৎসব ছিল - আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বসন্ত মৌসুম শুরু হওয়ার সময়। উদযাপনের অংশ হিসাবে ছেলেরা একটি বাক্স থেকে মেয়েদের নাম লেখা চিরকুট তোলেন। যে ছেলের হাতে যেই মেয়ের নাম উঠত, তারা দুজন ওই উৎসব চলাকালীন সময়ে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকতেন বলে মনে করা হয়। অনেক সময় ওই জুটিই বিয়েও সেরে ফেলতেন। পরবর্তী সময়ে, গির্জা এই উৎসবটিকে খ্রিস্টান উৎসবে রূপ দিতে চেয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার এই পেঙ্গুইনরা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। একইসাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে এই উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামটি মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে শুরু করে। আর মানুষ তার ভালবাসার মানুষের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশের জন্য এই নামটি ব্যবহার করা শুরু করে। | ভ্যালেন্টাইন'স ডে বা ভালবাসা দিবস কী এবং কীভাবে এটির উদযাপন শুরু হয়েছিল? |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | পাঞ্জাব দলের খেলার একটি দৃশ্য বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ক্লাবগুলোর একটি, লিভারপুলের ট্রেনিং একাডেমীতে ফুটবল প্রাকটিস করার সুযোগ প্রতিদিন কারো আসেনা। তবে ২৪ বছরের আইটি বিশেষজ্ঞ কেইমেন ব্রান্ড্রো ঠিক সেই কাজটিই করছেন। তিনি স্বপ্ন দেখছেন একদিন পাঞ্জাব এফএ-কে ফুটবলের জগতে বিখ্যাত করে তুলবেন। তিনি বলছেন, ''প্রথম আমার একজন বন্ধুর কাছে পাঞ্জাব এফএর বিষয়ে জানতে পারি। এরপর আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি। এখন আমরা সবাই এখানে আসতে পেরেছি।'' এই ফুটবল দলে যারা রয়েছেন, তাদের উত্তরসূরিরা ভারত আর পাকিস্তানের পাঞ্জাবি এলাকা থেকে এসেছেন, যদিও এই খেলোয়াড়দের সবার জন্মই যুক্তরাজ্যে আর তারা এখানেই বড় হয়েছেন। আরো পড়ুন: 'বাংলাদেশের মেয়েরাই আগে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে' 'কেন কোনো ফুটবল কোচ বেশিদিন থাকছেন না? বিশ্বকাপে ফ্লার্ট করা নিয়ে বিপাকে আর্জেন্টিনা লিভারপুল অনুর্ধ্ব ফুটবল দলের সঙ্গে পাঞ্জাব এফএ ফুটবল দল এ কারণে ফুটবল তাদের শেকড়ের সঙ্গে যোগাযোগ একটি মাধ্যম তৈরি করেছে, আর যোগাযোগ তৈরি করেছে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ পাঞ্জাবির সঙ্গেও। মি. ব্রান্ডো বলছেন, ''একসময় বাবা বা দাদার মাধ্যমে যে পাঞ্জাবীরা এখানে এসেছেন,তাদের সবাইকে আমাদের এই দলে স্বাগত জানানো হয়। তারা হিন্দু না মুসলমান,ভারত নাকি পাকিস্তান থেকে এসেছেন, সেটা কোন ব্যাপার না।'' মাঠের সাইড লাইনে বসে দলের সদস্যদের খেলা দেখছিলেন প্রতিষ্ঠাতা হারপ্রিত সিং। তার কাছে এই দল অনেক বড় কিছু। এর জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আর তার নিজের সঞ্চয় থেকে ৬৫ হাজার পাউন্ড দলের পেছনে ব্যয় করেছেন। হারপ্রিত সিং বলছেন, ''পাঞ্জাবি পরিচয় মানে তাদের মানসিকতা, ইতিহাস বা খাবারের বিষয়টি মনে করা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি যেন শুধুমাত্র একটি পরিচিতির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আপনার আসল পরিচয়টা কি, আপনার বাবা বা দাদা কারা ছিলেন, সেসব ব্যাপার যেন হারাতে বসেছে। তাই এই চমৎকার খেলাটির মাধ্যমে আমি সেই পাঞ্জাবি গর্বকে ফিরিয়ে আনতে চাই।'' কিন্তু আরো অনেক কিছু থাকতে সেজন্য ফুটবল বেছে নেয়া কেন? কারণ ইতিহাসে পাঞ্জাবিদের সঙ্গে ফুটবলের তো কোন যোগসূত্র বা সম্পর্কের ব্যাপার নেই। ইংল্যান্ড সি দলের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলছে পাঞ্জাব এফএ মি. সিংয়ের মতে, ''সেটা সত্যি পাঞ্জাবিদের সঙ্গে ফুটবলের বিশেষ কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ফুটবল হচ্ছে তরুণদের খেলা, এটি এমন একটি ভাষায় তাদের সাথে কথা বলে যে, আর কোন ভাষা দিয়ে আপনি এভাবে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন না।'' তার এই আবেগকে হয়তো পুরস্কৃত করা যায়। যেসব জাতি বা আলাদা সংস্কৃতির রাজ্য ফিফায় তালিকাভুক্ত হতে পারে না, তাদের ফুটবল সংগঠন কেনিফার নানা আয়োজনে এর মধ্যেই পাঞ্জাব এফএ ফেভারিট হিসাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। যে সংগঠনে আছে তিব্বত, পশ্চিম আর্মেনিয়া আর ইয়র্কশায়ারের নিজস্ব ফুটবল দল। কেনিফার পরিচালক পল ওয়াটসন বলছেন, ''ফুটবলের জন্য আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি আর ভিন্ন পরিচয়কে স্বীকৃতি দিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি ফুটবলে আরো নমনীয়তা আর আনন্দের বিষয়টি থাকা উচিত। ফিফা আপনার পরিচয় নির্ধারণ করে দিচ্ছে আর আমরা আপনার পরিচয় জানতে চাইছি। আমাদের কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ, আপনি কিভাবে আপনার পরিচয় তুলে ধরতে চান?'' তবে সম্প্রতি পাঞ্জাব টিম গত কয়েকটি প্রাকটিস ম্যাচে হেরে গেছে, আর সেটা উদ্বেগে ফেলেছে ম্যানেজার রুবেন হেইজলকে। পাঞ্জাবিদের এই দলে যে হাতে গোনা কয়েকজন অপাঞ্জাবি রয়েছেন, তাদের একজন মি. হেইজল। ২০১৬ সালের কেনিফা বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল পাঞ্জাব এফএ রুবেন হেইজল বলছেন, ''এই ছেলেরা খুবই ভালো ফুটবলার। আশা করছি, সামনে কেনিফার যে বিশ্বকাপ হবে, সেখানে তারা প্রমাণ করে দেবে যে,তারা কতটা ভালো। আমি নিজে পাঞ্জাবি কিনা, সেটা ব্যাপার না। যখন আমি তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, তখন আমার নিজেকেও একজন পাঞ্জাবি বলে মনে হয়। তারা যতটা জয় পেতে চায়, আমিও ততটাই চাই।'' দুই বছর আগে কেনিফার সর্বশেষ টুর্নামেন্টে শিরোপার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল এই পাঞ্জাবি দল। ২০১৬ সালের কেনিফা বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল পাঞ্জাব এফএ। তখন তারা কৃষ্ণ সাগরের তীরের পার্সিয়ান রাজ্য অ্যাবাকাসিয়ার কাছে পেনাল্টিতে তারা হেরে যায়। তাই এবার তাদের কাছে প্রত্যাশা আরো বাড়ছে। এবার সাইপ্রাসে যে কেনিফার যে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে, সেখানে তাদের কাছে জয়সূচক গোলের জন্য তাকিয়ে আছে সব পাঞ্জাবি। আরো দেখুন: মুসলমান ফুটবল ভক্তদের জন্য তৈরি যে রুশ শহর সৌদি থেকে দলে দলে ফিরছে মেয়েরা, সরকার চুপ প্রাণঘাতী ক্যান্সার নির্মূল করে যে থেরাপি ফেসবুক থেকে সরে যাচ্ছে কিশোর তরুণরা | ফুটবলের মাধ্যমে নিজেদের তুলে ধরতে চায় যে পাঞ্জাবিরা |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনটাই আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে প্রথম এক হাজারের মধ্যে নেই। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশাল অংকের উন্নয়ন বাজেটও রাখছে সরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে আন্তর্জাতিক যে র্যাংকিং - সেখানে প্রথম এক হাজারের মধ্যেও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসলে শিক্ষা-গবেষণাসহ নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কাজ কতটা হচ্ছে? বাস্তব পরিস্থিতিটা কেমন তাই দেখতে গিয়েছিলাম সিরাজগঞ্জ জেলায়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানা ভবনে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মহিলা ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখা গেল - পাশাপাশি রয়েছে ৩টি ভবন। এর একটিতে শোভা পাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। মূলত: চারতলা এই ভবনটিতেই আংশিকভাবে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এই মহিলা ডিগ্রী কলেজ ছাড়াও শাহজাদপুরেরই আরো ২টি কলেজের ২টি ভবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, প্রশাসনিক ভবন সবকিছুই ছড়ানো ছিটানো। ভবনটির একটি শ্রেণিকক্ষে দেখা গেলো - বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের জনাবিশেক শিক্ষার্থী বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে কাজ করছেন, যেগুলো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিভিন্ন পুরনো স্থাপনার মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো হাজার বছরের পুরনো একটি প্রাচীন জনপদের সন্ধান দিতে পারে - এমন ধারণা থেকেই বিভাগের পক্ষ থেকে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে কেমন? জানতে চাইলে বিভাগটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ জানাচ্ছেন, নতুন এই গবেষণা নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাও অনেক। "প্রথমত: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার, আমাদের তা নেই। দ্বিতীয়ত: কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে কোন প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের সময় বের করার কাজ অনেক ব্যয়বহুল। আমাদের জন্য সেটা অনেক বড় সমস্যা।" নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস নেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের। "এছাড়া আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য প্রস্তুত করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন বিভাগ। অবকাঠামো নেই। ফলে সমস্যা তো হচ্ছেই।" ক্যাম্পাস নেই তবে এরচেয়েও বড় সমস্যা আছে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস নেই। তবে ইতোমধ্যেই দুটি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ছেলেদের কোন হল নেই। নিজস্ব খেলার মাঠ নেই। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বইও নেই। শ্রেণিকক্ষের সংখ্যাও অপ্রতুল। একশো একর জায়গা বরাদ্দ হলেও কবে প্রকল্প অনুমোদন পাবে আর কবে নির্মাণকাজ শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। অনেক প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গত দশ বছরে চালু হয়েছে ১৪টি। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এসবের কোন কোনটি যেমন শিক্ষা ও গবেষণায় হিমশিম খাচ্ছে, তেমনি পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান কতটা অর্জন হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল বিশেষ করে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে আন্তর্জাতিক র্যাংকিং - সেখানে প্রথম এক হাজারের মধ্যে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্থান না হওয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে সবখানে। এমনকি ২০১৬ সালে র্যাংকিংয়ে ৬শ প্লাস অবস্থানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও এবার হাজারের বাইরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ অবশ্য বলছেন, বিশ্বের হাই র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যা খরচ করে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেভাবে তা আদায় করে সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব নয়। "এখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত সবকিছুই অন্যরকম।" "তাছাড়া এখানকার শিক্ষকরা তাদের গবেষণা অনলাইনে হালনাগাদ করেন না। সবকিছু মিলিয়েই এর একটা প্রভাব র্যাংকিংয়ে আছে।" তবে র্যাংকিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এই শিক্ষক অবশ্য অকপটেই স্বীকার করছেন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার মান ও গবেষণায় উন্নতি না হয়ে বরং অবনতি হয়েছে। তিনি বলছেন, "এখানে শিক্ষকদের অধ্যাপক হওয়ার জন্য মিনিমাম কয়েকটা গবেষণা থাকতে হয়। দেখা যায় অধিকাংশ শিক্ষক শুধু সে কয়েকটা গবেষণা শেষ করেই ক্ষ্যান্ত দেন। এরপর আর নতুন গবেষণায় নিয়োজিত হন না।" "অনেক ডিপার্টমেন্টেই এখন আর মাস্টার্সে শিক্ষার্থীদের থিসিস হচ্ছে না। এগুলো সত্য ঘটনা। এসব ঘটছে।" বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বাড়লেও নতুন জ্ঞান কতটা সৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে খোদ শিক্ষকদের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। তাহলে এর জন্য দায় কার? এমন প্রশ্নে মিসেস আহমাদের উত্তর "এর দায় আমাদের। আমাদের শিক্ষকদের। আমরাই গবেষণায় সময় না দিয়ে সেটা অন্য কাজে ব্যয় করছি। এবং আমাদের জবাবদিহিতাও নেই।" শিক্ষা নয়, আলোচনার বিষয় হয়েছে দুর্নীতি বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে গত নয় বছরে বাজেট বাড়িয়েছে সরকার। গবেষণাতেও বেড়েছে বরাদ্দ। সর্বশেষ অর্থ বছরে শুধু উন্নয়ন বাজেটই রাখা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা নয়, বরং দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিতর্কে আলোচনায় এসেছে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। বলা হচ্ছে, শিক্ষা নয়, রাজনীতিই এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। রাজনৈতিক প্রভাবেও জবাবদিহিতা কমে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ আব্দুল মান্নান চৌধুরীও তেমনটাই মনে করেন। তিনি বলছেন, "শিক্ষাঙ্গনে এখন অপরাজনীতি ঢুকে গেছে। বলা হয় যে, যতটা না শিক্ষক তার চেয়ে বেশি ভোটার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অধ্যাপকরা গবেষণার চেয়ে রাজনীতির পথ বেয়ে তরতর করে উপরে উঠার চেষ্টা করছেন।" "বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসলে গবেষণার পরিবেশ নেই - বলেন অধ্যাপক চৌধুরী। | শীর্ষ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কেন নেই |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | সাকিব আল হাসান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা এখন মুখোমুখি একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে। যেখানে এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য বোর্ডের কাছে সাকিব আল হাসান যে অনাপত্তিপত্র চেয়েছেন - সেটা না দেয়াও হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলছেন, কোনো ক্রিকেটার বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকুক বা না থাকুক, বিদেশের লিগে খেলতে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের একটা অনাপত্তিপত্র প্রয়োজন হয় । তবে যদি সেই ক্রিকেটার চুক্তিতে না থাকে তাহলে বাধ্যবাধকতা কমে যায়, এমনটা বলেন ফারুক আহমেদ। "সাকিব যদি চুক্তিতে না থাকে, তবে তার দায় কমে যাবে", বলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সর্বশেষ যে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকা সেখানে সাকিব আল হাসান নেই। তবে শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই নতুন করে চুক্তি করা ক্রিকেটারদের একটা তালিকা দেয়ার কথা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের - সেখানে সাকিব আল হাসানের নাম থাকার কথা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের নাম ধরে সমালোচনা করেন সাকিব আল হাসান। এর পরদিনই বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান ইঙ্গিত করেন, সাকিব যদি টেস্ট খেলতেই চান তবে তারা আইপিএলের অনাপত্তিপত্র বিবেচনা করে দেখবেন। বিবিসি বাংলাকেও স্পষ্ট জানান আকরাম খান, "আমরা সাকিব আল হাসানকে আইপিএলে খেলার অনাপতিপত্র দেবো কি না, সেটা নিয়ে বোর্ডে আলাপ হবে। বোর্ডের আলাপের পর একটা সিদ্ধান্ত আসবে।" আরো পড়তে পারেন: আকরাম খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন সাকিব আল হাসান সাকিব বনাম বিসিবি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে সাকিবের বিরুদ্ধে নোটিস ভারতের বিপক্ষে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সাকিব আল হাসান বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, "যেহেতু গোটা সিদ্ধান্ত বোর্ডের - তাই আমাদের দুই থেকে তিনদিন সময় লাগবে।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা ও সাকিব আল হাসানের মধ্যে এখন মূলত চলছে কথার লড়াই। ক্রিকফ্রেঞ্জির সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসানের বক্তব্যের পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুই পরিচালক আকরাম খান ও নাইমুর রহমান দুর্জয়। নাইমুর রহমান দুর্জয়ও বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইপিএলের অনাপত্তিপত্রের বিষয়টি পুরোপুরি ক্রিকেট অপারেশন্সের দায়িত্ব। সাকিব আল হাসানকে যদি অনাপত্তিপত্র না দেয়া হয় তাহলে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য চিত্র সামনে আসতে পারে। এর ফলে একটি হলো: সাকিব আল হাসানের সাথে ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হতে পারে। তা ছাড়া আরো কিছু প্রশ্ন উঠতে পারে - যেমন, সাকিব আর আদৌ টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন কি না, তিনি পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকবেন কি না, তিনি আর কতোদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে থাকবেন - এসব । আরেকটি সম্ভাবনা হলো - অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারটা মেনে নিয়ে সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটেই থেকে যাবেন কিনা ( বিশ্লেষকদের মতে যার খুব একটা সম্ভাবনা নেই) । এসব প্রশ্নের নিষ্পত্তি কীভাবে হয় - তা তখন দেখার বিষয় হবে। অনাপত্তিপত্র না দেয়াটা হবে বোর্ডের জেদ - ফারুক আহমেদ, সাবেক প্রধান নির্বাচক সাকিব আল হাসানকে অনাপত্তিপত্র না দেয়ার ভাবনাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তাদের জেদ বলছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। "সাকিব তো বলেনি সে এই সিরিজ খেলতে চায়, সাকিব বলেছেন টেস্ট খেলতে চায় তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে চায় না, এর বদলে সে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলবে।" গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে আকরাম খান বলেন, "সাকিব যদি টেস্ট খেলতে চায় - তাহলে আমরা আইপিএল অনাপত্তিপত্র আবার বিবেচনা করে দেখবো।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: খেলার মধ্যেই সাকিবকে ফুল দিতে তরুণের কাণ্ড ক্রিকেটার সাকিবকে হত্যার হুমকি, একজন গ্রেপ্তার সাকিব বলছেন আকরাম খান চিঠি পড়েননি পুরো ঘটনাটিকে ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এভাবে, "প্রথম থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে প্রফেশনাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।" মি. আহমেদের বক্তব্য, সাকিব যখন চাইলো আইপিএল খেলার পারমিশন - বোর্ড খুব আবেগপ্রবণভাবে কথা বলেছে। "বোর্ডের এতো ইমোশনাল কথা বলার কিছু ছিল না। বোর্ডের কথা হতো যে সাকিবকে অনুমতি দিলাম বা দিলাম না।" কিন্তু বোর্ড এমন একটা অবস্থানে গিয়েছে তাতে মনে হয়েছে, 'সাকিবকে পারমিশন দিলাম কিন্তু আমরা অখুশি'। "সাকিব কিন্তু বলেনি যে সারাজীবন টেস্ট খেলবে না, বোর্ড এটাকে এভাবে বলতে চেয়েছে যে কখনোই টেস্ট খেলবে না।" বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা দল হিসেবে উল্লেখ করেন ফারুক আহমেদ । এখানে বিবাদ তৈরি হওয়া কোনো ভালো ফল আনবে না মনে করছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরটি হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারি মাসে, কিন্তু তখন কোভিড সংক্রান্ত নানা নিয়মকানুন নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যে দ্বিমত থাকায় সিরিজটি সম্পন্ন হয়নি। এবার যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ একই সময়ে পড়েছে, তখন সাকিব আল হাসান একটি চিঠি দিয়ে বোর্ডের কাছে নিজের আইপিএল খেলার আগ্রহের কথা জানান। | ক্রিকেট: সাকিব আল হাসানকে আইপিএল খেলা থেকে আটকাতে পারবে বিসিবি? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ভুটান বাংলাদেশ খেলার ধারাভাষ্য নিয়েই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো আসলেই বলা হয়েছে কি না সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকতেই পারে। তবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভূটানের ম্যাচের ধারাভাষ্য নিয়ে তুলকালাম চলছে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত হাসির জোয়ার বইছে ধারাভাষ্যকারদের নিয়ে। বিশেষত ধারাভাষ্যকারদের বেশ কিছু ভুল নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে। ভূটান বাংলাদেশ ম্যাচে ধারাভাষ্যকারদের ভুলগুলো এভাবে তুলে ধরেন দর্শকরা যেসব ভুল নিয়ে আলোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেপ্রতিক্রিয়া ধারাভাষ্যকার নিয়ে রাগান্বিত দর্শকরা এসব ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাইফুল আলম চৌধুরী লিখেছেন, "এমন ধারাভাষ্যকার লইয়া জাতি কি করিবে! মামুনুল বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার পর ধারাভাষ্যকার বলছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় মামুনুল নামলেন!!!! মনে হচ্ছিল, ধারাভাষ্যকার কবরের ওপার থেকে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন!!" ক্রীড়া সাংবাদিক বর্ষন কবির তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, "চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত কবে অবসর নেবেন? পেনাল্টি পেলেও বলেন না। গোল হলেও একই 'টোন'! বেতার ও টিভি'র ধারাভাষ্যের পার্থক্যতো ভাই রাখবেন!' আরো পড়তে পারেন: ৯ ম্যাচে ৫৪ গোল: কিশোরী ফুটবলারদের সাফল্যের রহস্য 'কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে সেখানে বিসিবির কিছু করার নেই' বাংলাদেশে ক্লাব ফুটবলের সম্ভাবনা কতটা আছে? ধারাভাষ্য শুনে বিরক্ত এক দর্শক "ভূটান কিন্তু বাংলাদেশ অপেক্ষা দুর্বল দল। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে "পঁচা শামুকেই পা কাঁটে"। উদাহরণ হিসেবে বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ডের ম্যাচটিই দেখুন।- চ্যানেল নাইন এক কমেন্টেটর।" লিখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান প্রান্ত । আবার কেউ কেউ ধারাভাষ্যকারদের পক্ষেও কথা বলেছেন। যেমন ইসমাইল আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, "যারা বাংলাদেশের ধারাভাষ্যকার নিয়ে মজা নিচ্ছে তারা কি কখনো ভারতীয় বাংলা চ্যানেল ''জলসা মুভি'' তে আইপিএল এবং ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছে??? ধারাভাষ্যতো তারাই উচ্চতায় নিয়ে গেছে।" "সবাই যেইভাবে কমেন্ট্রি নিয়ে ট্রল করে পোস্ট দিচ্ছেন মনে হচ্ছে সবাই খেলা দেখা বাদ দিয়ে খেলা শুনছেন!!! বাদ দেন না ভাই, খেলার পজিটিভ দিক নিয়ে পোস্ট দেন পিলিজ.....।" মন্তব্য করেছেন মিজান রাসেল নামের এক ব্যক্তি। এখানে উল্লেখ্য যে মঙ্গলবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ভূটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায়। সাফ ফুটবলের বাংলাদেশের সম্ভাবনা ভাল বলে মনে করছেন মামুনুল ইসলাম | সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | অং সান সুচি যে আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে বিল রিচার্ডসন পদত্যাগ করেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সেটি গঠন করেছিলেন অং সান সুচি নিজে। সোমবার এক বৈঠকে চরম ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন মি রিচার্ডসন এবং মিস সুচি। রোহিঙ্গা নির্যাতন: সত্য, মিথ্যা এবং আং সান সুচি মি রিচার্ডসন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি রয়টরস বার্তা সংস্থার দুই সাংবাদিকের আটক ও বিচারের প্রসঙ্গ তুলতেই মিস সুচি 'রাগে ফেটে পড়েন'। "তার (মিস সুচির) মুখ রাগে কাঁপছিল, আমি যদি তার হাতের নাগালে থাকতাম তিনি হয়তো আমাকে মেরেই বসতেন, এতটাই রেগে গিয়েছিলেন তিনি।" মি রিচার্ডসন বলেন, মিডিয়া, মানবাধিকার বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিস সুচি যে ভাষায় আক্রমণ করছিলেন তাতে তিনি "হতভম্ব" হয়ে পড়েছিলেন। "আমি তাকে পছন্দ করি, তাকে সম্মান করি। কিন্তু রাখাইন ইস্যুতে তিনি নেতৃত্বে দেওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।" বিল রিচার্ডসন পোপকে 'রোহিঙ্গা' শব্দটি না ব্যবহারের পরামর্শ মি রিচার্ডসন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দেওয়ার মত মৌলিক ইস্যুতে তিনি মিয়ানমার সরকারের মধ্যে কোনো সততা দেখতে পাচিছলেন না। মি রিচার্ডসনের বিরুদ্ধে অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছে মিয়ানমার সরকার। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মি সুচির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়েছেন মি. রিচার্ডসন। আন্তর্জাতিক প্যানেলের একজন সদস্য খিন নিও বিবিসিকে বলেছেন রয়টরসের সাংবাদিকদের প্রসঙ্গটি মিস সুচির সামনে না তোলার জন্য আগে থেকেই মি রিচার্ডসনকে সাবধান করা হয়েছিল। | 'হাতের নাগালে পেলে সুচি হয়তো আমাকে মেরে বসতেন' - বিল রিচার্ডসন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | অক্সিজেনের তীব্র আকাল ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আরও হৃদয়বিদারক করে তুলেছে - দেশের বহু হাসপাতালই অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, শুক্রবার রাতে ২০ জন গুরুতরভাবে অসুস্থ রোগী অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মারা গেছেন। জয়পুর গোল্ডেন নামের ওই হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে যে, অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া অধিকাংশ রোগীই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। প্রত্যেকেই অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়ার কারণে মারা যান। সে সময় হাসপাতালের অক্সিজেনের মজুদ শেষ হয়ে যায়। ঐ হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীপ বালুজা'র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে বর্তমানে থাকা ২০০ রোগীর মধ্যে ৮০ জন অক্সিজেন সাপোর্টে এবং ৩৫ জন আইসিইউতে রয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, "শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যে হাসপাতালের তরল অক্সিজেনের মজুদ শেষ হয়ে যায়। এরপর আমরা কেন্দ্রীয় গ্যাস পাইপ লাইনের সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংযোগ করে দিলেও, অক্সিজেনের চাপ কম থাকায় রোগীরা মারা যান।" শনিবার সকালে হাসপাতালটিতে মাত্র ৪৫ মিনিটের মতো অক্সিজেনের যোগান ছিল বলে দ্য হিন্দু পত্রিকা জানিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: 'একটি আইসিইউ বেড পেতে অন্তত ৫০টা হাসপাতালে খোঁজা হয়েছে' প্রায় সব রেমডেসিভির আগাম কিনে নিলো যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন টিকাদানে আপনার দেশের অবস্থান কোথায়? সারা ভারত জুড়েই কোভিড রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের সঙ্কট চরমে হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই হাসপাতালটির অক্সিজেনের যোগান পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্তও তারা তাদের জন্য নির্ধারিত অক্সিজেন পায়নি। এমনকি ২০ জন রোগীর মৃত্যুর পরও হাসপাতালটি প্রয়োজনের মাত্র ৪০ ভাগ অক্সিজেন পেয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বালুজা বলেন, "আমরা আবারও সংকটময় পরিস্থিতিতে। ২০০ জনের জীবন এখন ঝুঁকিতে। গত রাতে আমরা অধিকাংশ রোগীকে বাঁচাতে পারলেও আজ তা পারবো না। আমাদের অক্সিজেনের জরুরি মজুদও শেষ হয়ে গেছে।" শুক্রবারও দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেন মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে ২১শে এপ্রিল মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরের একটি সরকারি কোভিড হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে একসঙ্গে অন্তত ২২জন রোগী মারা যান। ওই হাসপাতালের সামনে একটি ট্যাঙ্কার থেকে অক্সিজেন লিক হওয়ার জেরেই ঐ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় আধা ঘণ্টার মত হাসপাতালের অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ ছিল, যার ফলে ২২ জন রোগী প্রাণ হারান। সেদিন সকালেও সেখানে অন্তত দেড়শো রোগী ভর্তি ছিলেন, যাদের হয় ভেন্টিলেটরে রেখে বা চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে চিকিৎসা চলছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতার পেছনে কারণ যা বলা হচ্ছে পুরানো ঢাকা থেকে কেমিকেলের মজুদ সরানো যাচ্ছে না কেন প্রাচীন ধর্মীয় পাণ্ডুলিপির রহস্য উন্মোচন করেছেন যে বাংলাদেশি গবেষক করোনাভাইরাস: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এলে পরিস্থিতি খারাপের আশংকা ভারতের কিছু কিছু এলাকার স্বাস্থ্য সেবা খাত তাদের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে হাসপাতালগুলো চরমভাবে অক্সিজেন সংকটে ভুগছে। অক্সিজেন সংকটে মৃত্যুর ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে, যখন একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিশ্বে রেকর্ড করেছে ভারত। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে তিন লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত তিন দিনে দেশটিতে প্রায় দশ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভারতের কিছু কিছু এলাকার স্বাস্থ্য সেবা খাত তাদের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে হাসপাতালগুলো চরমভাবে অক্সিজেন সংকটে ভুগছে। অক্সিজেনের তীব্র আকাল এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আরও হৃদয়বিদারক করে তুলেছে - দেশের বহু হাসপাতালই অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে রোগীর পরিবারের সদস্যরা সারা রাত ধরে লাইন দিচ্ছেন অক্সিজেন কেনার জন্য - একেকটা সিলিন্ডারের দাম ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু সেটাও এখন পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিবিসি-র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। ওই উত্তরপ্রদেশেরই একজন সিনিয়ার সাংবাদিকের কথা জানা যাচ্ছে, যিনি একের পর এক টুইট করে আবেদন করছিলেন অক্সিজেনের চেয়ে - লিখছিলেন যে তার অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে আসছে। তিনি শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন পান নি - মৃত্যু হয়েছে তার। তবে পূর্ব ভারতে অক্সিজেনের ঘাটতি এখনও হয়নি। যেহেতু মূলত ইস্পাত শিল্প কারখানাগুলো অবস্থিত - ওই কারখানাগুলোতেই শিল্পের জন্য অক্সিজেন মজুত থাকে - তারা চিকিৎসার জন্যও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। তাই এই অঞ্চলে অক্সিজেনের থেকেই অক্সিজেন যেতে শুরু করেছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। তবে এই কাজটা আরও আগে শুরু করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরবরাহ বাড়াতে অতিরিক্ত ট্রেন মোতায়েন করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিমান বাহিনীকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, জার্মানি থেকেও অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ভারত সরকারকে তিরস্কার হাইকোর্টের অক্সিজেন সংকটের কারণে ভারত সরকারকে তিরস্কার করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সংকটের কারণে মহারাজা আগ্রাসেন হাসপাতাল দিল্লির হাইকোর্টে আবেদন করে। শুনানির পর আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান, ''এপ্রিলের ২১ তারিখে ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরাহের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, সেটা কখন পাওয়া যাবে?'' হাইকোর্ট বলেন, অক্সিজেন সংকটের জন্য যারা দায়ী, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না। এর আগে আদালত সরকারকে বলেছিল "ভিক্ষা করুন, ধার করুন, চুরি করুন - যা খুশি করুন কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ করুন।" | করোনা ভাইরাস: দিল্লির হাসপাতালে অক্সিজেন বিপর্যয়ে বহু রোগীর মৃত্যু |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিক্ষোভ হচ্ছে, জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বিক্ষোভের চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস বিমানবন্দরসহ পুরো দেশজুড়েই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে বিমান বন্দরগুলোতে যেখানে আটকা পরেছেন বহু মুসলিম, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়। হোয়াইট হাউজের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের অভিসংশন দাবি করে বলছেন যে, "তার অভিশংসন হওয়া উচিৎ। আমাদের এই বৈষম্য বন্ধ করা উচিত। আমরা এভাবে সামনে এগুচ্ছি না, আমরা আসলে পিছিয়েই পড়ছি। দেশটি কিসে পরিণত হচ্ছে? এসব বন্ধ হওয়া দরকার।" আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, " প্রত্যেক বৈধ ব্যক্তিরই এদেশে আসা যাওয়ার অধিকার আছে। তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হওয়া উচিত নয় আমি মনে করি সবারই সে অধিকার থাকা উচিত।" শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাতটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সংগঠন মামলা করলে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেন নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান ডনেলি। কিন্তু অবস্থানে অনড় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। লিখিত বক্তব্যে মিস্টার ট্রাম্প মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এসব কিছুর জন্যে মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণাকে দোষ দিয়েছেন। তিনি বলছেন যে, ৯০ দিনের মধ্যে সকল দেশের নাগরিককেই ভিসা প্রদান করা হবে। এদিকে, ট্রাম্পের অভিবাসী ও শরণার্থী বিরোধী এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরণার্থীদের নিজ দেশে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সাথে সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও। আরও পড়ুন: শরণার্থীরা কানাডায় স্বাগত: জাস্টিন ট্রুডো বিমানবন্দরে আটকে যাচ্ছেন ৭ মুসলিম দেশের লোকেরা অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা আটকা পড়েছেন তাদের জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছেন আইনজীবীরা, ভার্জিনিয়ার ডালাস বিমানবন্দরের চিত্র এটি | যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন অনড় |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | পরিবারসহ শেখ মুজিবুর রহমান তাদের কয়েকজন এবং কিছু সৈনিক বাড়ীটির সামনে এবং ভিতরে ছিলেন কিন্তু অফিসিয়ালি আদেশপ্রাপ্ত হয়ে বাড়িটির মধ্যে প্রথমবারের মত যান লে:কর্নেল এম এ হামিদ পিএসসি। সে সময়ে তিনি ঢাকা স্টেশনের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর লেখা 'তিনটি সেনা অভ্যুত্থান এবং না বলা কিছু কথা' বইটিতে লিখে রেখে গেছেন সেই সময়ের কিছু তথ্য। তিনি সেখানে দেখতে পান বাড়ির মূল দরজায় মেজর পাশা এবং মেজর বজলুল হুদা দাড়িয়ে ছিলেন। হুদা প্রথমেই তাকে নিয়ে গেলেন নিচতলার রিসিপশন রুমে। সেখানে শেখ কামালের মৃতদেহ টেবিলের পাশে একগাদা রক্তের মাঝে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। একটা টেলিফোনের রিসিভার টেবিল থেকে ঝুলছিল। লে:কর্নেল হামিদের মনে হয়েছিল শেষ মুহূর্তে কাউকে ফোন করতে চাইছিলেন শেখ কামাল। একটা হাত তার ওদিকেই চিল। টেবিলের পাশে আর একটি মৃতদেহ। একজন পুলিশ অফিসার। প্রচুর রক্তক্ষরণেই দুজন মারা গেছেন। কামালের ভাঙ্গা চশমা পাশে পড়েছিল। আরো পড়ুন: শেখ মুজিব হত্যার পর জেনারেল জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন বিটিআরসি কেন মোবাইলের কলরেট বাড়াতে চায়? সৌদি যুবরাজদের কারা অপহরণ করল এবং কেন? লে:কর্নেল হামিদের বই থেকে নেয়া ছবি সিঁড়ির উপর শেখ মুজিব: "এরপর আমরা দু-তলায় উঠতে পা বাড়ালাম। সিঁড়ির মুখেই চমকে উঠলাম" বলছিলেন তিনি। "সিঁড়িতেই দেখি পড়ে আছেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি এবং চেক লুঙ্গি। পাশে পড়ে আছে তাঁর ভাঙ্গা চশমা। তাঁর দেহ সিঁড়ির ওপরে এমনভাবে পড়েছিল যেন মনে হচ্ছিল সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেছেন। কারণ তাঁর মুখে কোনো রকমের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। চেহারা ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তাঁর বুকের অংশটুকু ছিল ভীষণভাবে রক্তাক্ত। মনে হলো ব্রাস লেগেছে"। "তার বাম হাতটা ছিল বুকের উপর ভাঁজ করা, তবে তর্জনী আঙ্গুলটা ছিঁড়ে গিয়ে চামড়ার টুকরার সাথে ঝুলেছিল। তার দেহের অন্য কোনো অঙ্গে তেমন কোনো আঘাত দেখিনি। সারা সিঁড়ি বেয়ে রক্তের বন্যা" লিখেছেন তিনি। পরিবারের বাকি সদস্যদের মরদেহ কোথায়, কীভাবে ছিল? সিঁড়ির মুখেই ঘরটাতে বেগম মুজিবের দেহ দেউড়ির উপর উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। তার গলার হারটা ঢুকে ছিল মুখের মধ্যে। তিনি লিখেছেন "মনে হলো স্বামীর উপর গুলির শব্দ শুনে তিনি ছুটে আসছিলেন। কিন্তু দরজার মুখেই গুলিবিদ্ধ হয়ে দেউড়িতে লুটিয়ে পড়েন। তার দেহ অর্ধেক বারান্দায় অর্ধেক ঘরের ভেতরে"। এক ঘরের মধ্যেই সবার মরদেহ: লে:কর্নেল হামিদ লিখেছেন "তাকে পাশ কাটিয়ে কামরার ভেতরে প্রবেশ করলাম। কামরার মেঝেতে এক সাগর রক্ত থপথপ করছিল। আমার বুটের সোল প্রায় অর্ধেক ডুবে যাচ্ছিল। বিধ্বস্ত পরিবেশ। রক্তাক্ত কামরার মধ্যে পড়ে আছে কয়েকটি লাশ। বাম পাশেরটি শেখ জামাল। তার দেহের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা দেখে মনে হলো কামরার ভেতরে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। মিসেস রোজী জামাল সদ্য বিবাহিতা হাতে তাজা মেহেদীর রং। ব্রাস অথবা গ্রেনেডের আঘাত সরাসরি তার মুখে লেগেছিল"। "পাশে মিসেস সুলতানা কামাল। প্রচুর রক্তক্ষরণে এখন তার চেহারা সম্পূর্ণ বিবর্ণ ,শুকনো। তার কোল ঘেঁষে ছোট রাসেলের মৃতদেহ। তার মাথার পিছনদিক একেবারে থেঁতলে গিয়েছিল"। সবগুলো ঘর ছিল খোলা। প্রতিটি ঘরেই দামি দামি জিনিসপত্র। রাষ্ট্রপতির পরিবার। মাত্র কদিন আগেই দু'দুটি বিয়ে হয়ে গেছে ঐ বাড়িতে শেখ কামাল এবং শেখ জামালের। আনন্দ মুখর আনন্দ ভবনটি এখন নীরব নিথর। নিচের তলার একটি বাথরুমে পড়েছিল শেখ মুজিবের ভাই শেখ নাসেরের রক্তাপ্লুত মৃতদেহ, চেনাই যাচ্ছিল না। বাড়ির পিছনে আঙ্গিনায় একটি লাল গাড়ির পেছনের ইটে হেলান দিয়ে বসিয়ে রাখা ছিল কর্নেল জামিলের প্রাণহীন দেহ। ১৫ অগাস্ট দুপুর পেরিয়ে বিকেল। কিন্তু তখনো ক্ষমতার পালাবদলের হিসাব-নিকাস চলছে। মাথা ব্যথা নেই ৩২ নং রোডের বাড়ির দিকে। রাতের অন্ধকারে দাফনের সিদ্ধান্ত: বঙ্গভবন থেকে রাত তিনটার দিকে ফোন এলো লে:কর্নেল হামিদের কাছে। ৩২নং বাড়ি, শেখ মনি , আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ অন্যান্য যারা ঐ ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাদের বাসা থেকে মৃতদেহ কালেক্ট করে বনানী গোরস্থানে দাফন করতে হবে। তবে শেখ সাহেবের লাশ শুধু বাড়িতে থাকবে , স্থান পরে জানানো হবে। লে:কর্নেল এম এ হামিদ বলছেন "আমার পৌছানোর আগেই শেখ সাহেবের পরিবারের সবগুলো লাশ কফিন বন্দি করে সাপ্লাই ব্যাটালিয়নের ট্রাকে তুলে আমার আগমনের অপেক্ষা করছিল। শুধু শেখ সাহেবের লাশ কফিন বন্দি করে বারান্দার এক কোনে ফেলে রাখা হয়েছে"। লে:কর্নেল হামিদের মনে সন্দেহ হয়। তিনি সুবেদারকে কফিনটি খুলতে বলেন তখন দেখেন সেটা তাঁর ভাই শেখ নাসেরের মরদেহ। সুবেদার এর ব্যাখ্যা দিয়েছিল দুজনেই দেখতে অনেকটা একরকম তাছাড়া রাতের অন্ধকারের কারণে এই ভুল। বনানী কবরস্থানের মরদেহের বর্ণনা মরদেহ দাফন: সাপ্লাই ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা একটানা কাজ করে ১৮টি কবর খুঁড়ে রেখেছিল। ভোর হওয়ার আগেই লাশগুলা দাফন করা হয়। তিনি লিখেছেন "লাশগুলো দাফনের পর আমি আমার অফিসে ফিরে এক এক করে নামগুলো আমার অফিস প্যাডে লিপিবদ্ধ করি। এছাড়া আর কোথাও এই সামধিগুলোর রেকর্ড নেই"। প্রয়াত রাষ্ট্রপতির দাফন: বঙ্গভবন থেকে আবার মেসেজ পাঠানো হল। শেখ সাহেবের ডেডবডি টুঙ্গিপাড়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি এয়ারফোর্স হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬ই অগাস্ট সন্ধ্যার আগে আগে তাঁর দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। তাঁর শরীরে ১৮ টি বুলেটের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয় অতি নীরবে,নি:শব্দে টুঙ্গিপাড়ার একটি গ্রামে। | শেখ মুজিব সপরিবারে হত্যার পর ৩২নং রোডের বাড়ীর ভেতরের দৃশ্য কেমন ছিল? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | প্রতিবছর ঈদের সময়ে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফে যাকাত সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া আছে। মদিনায় যখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারপর থেকে প্রায় ১৪০০ বছর পার হয়েছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে । এখনকার রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নাগরিকরা সরকারকে আয়কর দিচ্ছেন। এ আয়কর হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। নাগরিকরা যেখানে সরকারকে আয়কর দিচ্ছেন, সেখানে যাকাত দেয়া কতটা বাধ্যতামূলক? এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলছেন আয়কর দিলেও যাকাত দিতে হবে। অধ্যাপক ইব্রাহিম বলেন, "আয়কর হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার ট্যাক্স। কিন্তু যাকাত হচ্ছে রিলিজিয়াস (ধর্মীয়) ট্যাক্স। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারটা প্রধান্য দিতে হলে তাকে যাকাত দিতেই হবে।" তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকলে আয়কর দিতে হতো না। যাকাত আয়করের বিকল্প হতো। অধ্যাপক ইব্রাহিম বর্ণনা করেন, সম্পদের 'শুদ্ধতার' জন্য যাকাত দেয়া অপরিহার্য। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার চিন্তা থেকে ইসলামে যাকাত ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। "যাকাত ব্যবস্থা ইসলামী রাষ্ট্রের আর্থিক এবং রাজস্ব সংক্রান্ত বিধান। ইসলামী রাষ্ট্রে আয়করের ব্যবস্থা নাই। ইসলামী রাষ্ট্রে যাকাত ব্যবস্থা," বলছিলেন অধ্যাপক ইব্রাহিম। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন, আয়কর এবং যাকাত- দুটোই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। তবে পার্থক্য হচ্ছে, যাকাতের ক্ষেত্রে ইসলামী রাষ্ট্র হতে হবে এবং আয়করের ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়ার বাধ্যবাধকতার কোন বিষয় নেই। আয়কর দিতে হয় মোট আয়ের উপর এবং যাকাত দিতে হয় মোট আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে উদ্বৃত্ত সম্পদের উপর। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ড: শমসের আলী বলছেন, আয়কর দিলেও যাকাত দিতে হবে। তিনি বলছেন, একটি রাষ্ট্র যদি আদর্শ ইসলামিক রাষ্ট্র হয় তাহলে আয়কর এবং যাকাত - এ দুটো একসাথে দেবার প্রয়োজন হতো না। তখন শুধু যাকাত দিলেই হতো। "রাষ্ট্র যদি ইসলামিক হয় তাহলে অতিরিক্ত ইনকাম ট্যাক্স (আয়কর) দেয়া লাগতো না। সেটা আগেও দিতো না। তফাৎটা হচ্ছে ওখানে," বলছিলেন ড: আলী। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, ইসলাম ধর্মের দর্শন অনুযায়ী রাষ্ট্রের তরফ থেকে যাকাত আদায় এবং সেটির ব্যবস্থাপনা করার কথা। কিন্তু কোন রাষ্ট্র যদি ইসলামিক রাষ্ট্র না হয়, তাহলে সেখানকার নাগরিকরা নিজ উদ্যোগে তার উদ্বৃত্ত সম্পদ হিসেব করে যাকাত দেবে। অধ্যাপক ইব্রাহিম বলছেন, প্রতি বছর ব্যয় নির্বাহের পর কোন মুসলিমের কাছে যদি উদ্বৃত্ত সম্পদ থাকে তাহলে সেখান থেকে আড়াই শতাংশ হারে যাকাত দিতে হবে। কোন খাতে কী পরিমাণ যাকাত দিতে হবে এবং কারা যে যাকাত পাবার যোগ্য সে বিষয়গুলো ইসলাম ধর্মে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। ইসলামি চিন্তাবিদরা মনে করেন, গত দেড় হাজার বছরে পৃথিবীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও ইসলামের দৃষ্টিতে যাকাতের মূল দর্শন পরিবর্তন হয়নি। সেক্ষেত্রে বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আয়কর এবং ইসলামের দৃষ্টিতে যাকাত - এ দুটো ভিন্ন বিষয় হিসেবেই থাকছে। আরো পড়ুন: আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন সৌদি আরবের ভবিষ্যত বাদশাহ সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে কাতার সংকটে যেভাবে শাস্তি পাবে গাজায় ফিলিস্তিনিরা সাদ্দামের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে মার্কিন সৈন্যরা | আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়? |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ওয়েস্টমিনস্টারে হামলাটি ছিল ব্রিটেনে ছয় মাসে চালানো পাঁচটি হামলার একটি। কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের কাছ থেকে তারা যত ফোন কল পেয়েছেন, তার এক-পঞ্চমাংশ কল থেকে তারা গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য জানতে পেরেছে। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নিল বাসু বলছেন, তারা চাইছেন ব্রিটেনের নাগরিকেরা যেন এখন 'সুনাগরিক থেকে সন্ত্রাস-বিরোধী নাগরিকে পরিনত হন।" "কোন কিছু দেখে যদি আপনার মনে সন্দেহ তৈরি হয়, তাহলে আপনার দায়িত্ব হবে তা পুলিশকে জানানো," বলছেন তিনি। তার এসব মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ওপর ব্রিটেনে এক বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে জনসাধারণ সন্ত্রাস-বিরোধী পুলিশের কাছে ৩০,৯৮৪ টি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এর মধ্যে ৬০০০ রিপোর্ট থেকে তদন্তের সূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন। লন্ডনে ব্রিটেনের সংসদ ভবন ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় ২০১৭ সালের হামলার পটভূমিতে সন্ত্রাসের ব্যাপারে তথ্য জোগানোর জন্য জনগণের প্রতি এই আহ্বান জানানো হচ্ছে। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটেনের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ এমআই-ফাইভ ৩০০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৬০০টি সন্ত্রাস-বিরোধী তদন্ত পরিচালনা করছে। আরও দেখুন: | ব্রিটেনের বাসিন্দাদের 'সন্ত্রাস-বিরোধী নাগরিক' হতে বলছে পুলিশ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | জুন মাস থেকে হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে চীনের অন্যান্য এলাকা থেকে হংকং যেন আলাদা স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আইনের বার্ষিক একটি পর্যালোচনা করা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি 'শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করেছেন।' তবে এর প্রতিক্রিয়ায় হংকংয়ের সরকার বলেছে যে তারা এই আইনটি পরিস্থিতি সহজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেনি এবং সেখানকার মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। এই আইন বেইজিংকেও ক্ষুদ্ধ করবে - হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না ঘামায়, আগেই এমন অনুরোধ করেছিল চীনের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সেসময় রাষ্ট্রদূতকে তারা সতর্ক করে যে হংকং বিষয়ে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্র এর 'পরিণাম ভোগ করবে।' যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চীনের সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই বিলটির এত ব্যাপক সমর্থন ছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ঐ প্রস্তাবের বিরোধিতাও করতেন, তাহলেও এটি আইন হিসেবে পাস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মি. ট্রাম্প এর পাশাপাশি আরেকটি বিলও পাশ করেছেন, যা হংকংয়ের পুলিশের কাছে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও স্টান গানের মত অস্ত্র - যেগুলো মিছিল বা ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় - রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। আরো পড়তে পারেন: হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিজয়ের অর্থ কী? 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' হংকং এর অর্থনীতি এখনো চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? হংকং বিক্ষোভে চীন কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি 'শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করেছেন।' কী আছে আইনে? এ বছরের জুনে হংকংয়ের বিক্ষোভের শুরুর দিকে এই প্রস্তাবটি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা হয় এবং গত মাসে বিশাল ব্যবধানে কংগ্রেস এটিকে অনুমোদন দেয়। আইনে বলা আছে: "হংকং চীনের অংশ হলেও তাদের স্বতন্ত্র আইনি ও অর্থনৈতিক নিয়মাবলী আছে। বার্ষিক পর্যালোচনায় যাচাই করা হবে যে হংকংয়ের আইনকে খর্ব করে চীন সেখানকার বেসামরিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন ক্ষুন্ন করছে কি না।" হংকং যেন তাদের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট পরিমাণ স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বলতে বোঝায়, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের জন্য কার্যকর হবে না। জুন মাসে চীন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় হংকংয়ে হংকংয়ের পরিস্থিতি কী? জুন মাসে চীন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবি নিয়ে হংকংয়ের নাগরিকরা বিক্ষোভ শুরু করলেও পরবর্তীতে এটি পরিণত হয় গণতন্ত্রের সমর্থনে হওয়া বিক্ষোভে। এই বিক্ষোভ ক্রমে সহিংস রুপ নেয়। পুলিশের ওপর বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনা ঘটে এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিও ছুড়ে। রবিবার হংকংয়ে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐ নির্বাচনে সরকার ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি মানুষের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থীরা বড় ধরণের বিজয় অর্জন করেছে। হংকংয়ের ১৮টি কাউন্সিলের ১৭টিই এখন গণতন্ত্রপন্থী কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে। আরো খবর: জঙ্গিবাদ দমনে বিনিয়োগ বেড়েছে, কিন্তু কৌশল সেই পুরনো আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটার সাইফের জরিমানা কলম্বিয়ায় আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ডিলান কে? | হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইন পাশ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে এর আগে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে রাখাইন স্টেটে তাদের উপর নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ করলেও মিয়ানমারের সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ এখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা ঐ ভিডিওটির প্রেক্ষাপটে পদক্ষেপ নেবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে পুলিশের তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মারধর করছে। সরকারের দেয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে এই ঘটনা নভেম্বরে রাখাইন স্টেটে সংঘর্ষের দুইদিন পরেই ঘটেছে। সে ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। এ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার সব সময় বলে এসেছে রাখাইন স্টেটে নিরাপত্তা বাহিনী আইন মেনেই কাজ করছে। এর আগে রোহিঙ্গাদের দ্বারা ধারণ করা এই ধরণের মারধরের ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে আসলেও সেগুলো নকল বলে বাতিল করে দিয়েছিল সরকার। এমনকি গত তিন মাস ধরে ঐ এলাকায় কোন পর্যবেক্ষকের প্রবেশে বাধা রয়েছে। | রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | অভিযান নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক এর পেছনে রয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রবল ইচ্ছা, এমনটাই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তবে মাদক বিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহতের ঘটনা নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। End of YouTube post, 1 কীভাবে, কবে থেকে শুরু হল এই অভিযানের পটভূমি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বিবিসি বাংলাকে ২৩ মে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, এ বছর অন্তত তিনটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলেছিলেন। তার ধারাবাহিকতাতেই এ অভিযান চলছে। জানুয়ারি মাসে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নানা ধরনের সামাজিক সমস্যার মধ্যে মাদককে "গুরুতর সমস্যা" হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, "এরপর পুলিশের দ্বিতীয় আরেকটি অনুষ্ঠানে এবং তৃতীয়বার গত মাসে সারদায় পুলিশ ট্রেনিং একাডেমিতে ভাষণেও তিনি মাদক সমস্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।" গত ১১ই মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের পাশাপাশি মাদক সমস্যা থেকে ছাত্র সমাজকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। আরো পড়ুন: 'মাদক ব্যবসার চেয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা বড় অপরাধ' কোন্ তালিকার ভিত্তিতে চলছে মাদকবিরোধী অভিযান? ইয়াবা ট্যাবলেট মি. ইমাম বলছিলেন, "ঐ ভাষণেই তিনি জানান যে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি ইতোমধ্যেই র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৩রা মে র্যাব সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের মতো সমস্যার মোকাবেলায় র্যাব যেমন সাফল্য দেখিয়েছে, তেমনি মাদক চোরাচালানী বা মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে র্যাব কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ঐ বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, মাদক তৈরি, বিক্রি, পরিবহন এবং সেবনের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাই সমানভাবে দোষী বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মূলত এর পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়। কতজন নিহত হয়েছে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত একশ'র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষায় 'বন্দুকযুদ্ধে' এখন পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে আংশিক হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার ও বিক্রির চক্রগুলোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী মানবাধিকার সংগঠন অধিকার মে মাসের ১৫ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত হিসেব দিয়েছিল ৪৯ জন নিহত হয়েছে। দেশজুড়ে চলা এই অভিযানে কুষ্টিয়া, নারায়নগঞ্জ, বরিশাল, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ফেনী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, নরসিন্ধী, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, কুমিল্লা, ব্রাক্ষবাড়িয়া, ঠাকুরগাও, জামালপুর, রংপুর,গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, মাগুরা জেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব জেলায় এক থেকে একাধিক নিহতের ঘটনা রয়েছে। সরকার কী বলছে? প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ-র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ২২ শে মে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। "মাদক ব্যবসায়ীরা অনেক প্রভাবশালী। তাদের কাছে সবধরনের অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। তাই আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী যখনই অভিযান চালাতে গেছে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। সে কারণেই এই নিহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে" বলেন তিনি। পুলিশের উদ্ধার করা মাদক। এর আগে, মাদকবিরোধী প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে সারাদেশে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে নিরাপত্তা বাহিনী, যার স্লোগান -''চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে।'' র্যাব কী বলছে? র্যাব বলছে এই অভিযান শুরু হয়েছে ৪ঠা মে থেকে। র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান ২৭ শে মে বিবিসিকে বলেন, "যারা এ পর্যন্ত আটককৃত হয়েছে, যারা সশস্ত্র অবস্থায় নিহত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তো অসংখ্য অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।" তিনি আরো বলেছিলেন, "আমাদের অধিনায়ক যারা আছে তাদের কড়া নির্দেশ দেয়া আছে, যাতে করে নিরপরাধ কেউ যেন কখনো ভিকটিমাইজ না হয়।এবং আমরা সব সময় সেটা নিশ্চিত করি"। মি. খান বলেন "যখন গোলাগুলি হয় তখন প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হয়। এই অভিযান কোন সুনির্দিষ্ট সময় লক্ষ্য করে করা হয় নি।" মাদকের প্রতিটি চালানের সাথে ১৫ জন করে জড়িত। "এটা একটা বিশেষ অভিযান। অবশ্যই পরিস্থিতির বিবেচনায় এর ধরণ প্রকৃতির পরিবর্তন আসবে। পরিস্থিতি আসলে বলে দেবে এই অভিযান কত দিন চলবে। অভিযান যেটা শুরু হয়েছে সেটা চলমান থাকবে।" মাদকবিরোধী মামলাগুলো কী নিস্পত্তি হয়? বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে মোট ১১,৬১২টি। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৩২৮৯টি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলছেন, "২০১৭ সালে ২৫৪৪টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১০১৬টি মামলায় আসামীর সাজা হয়েছে। আর আসামী খালাস পেয়েছে ১৫২৮টি মামলায়"। বাংলাদেশের মাদক বিরোধী আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা থাকলেও এর কিছু ত্রুটি এখনো রয়ে গেছে। এ সম্পর্কে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, "প্রচলিত আইনের তফসিলে বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত নেই। যাদের মাদকের গডফাদার বা মাস্টার-মাইন্ড বলা হয় তাদেরকে আইনে সোপর্দ করার কোন ব্যবস্থা বর্তমান আইনে নেই।" "আমরা আইন সংশোধন করে, যারা মাদকের ব্যবসা করে এবং মাদক তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইনানুগ বিধান তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি," বলে মন্তব্য করেন মি. আহমেদ। আরো পড়ুন: মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্নে র্যাব কী বলছে মাদক বিরোধী অভিযানে পাচারের বিরুদ্ধে কতটা নজর দেয়া হচ্ছে? কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত কিনা 'বাংলাদেশে মাদকাসক্ত ফিলিপিনের চেয়েও বেশি' 'টেলিফোন করলেই পৌঁছে যায় ইয়াবা' | বাংলাদেশে যেভাবে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | সরকারের সাথে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা শুক্রবার মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গাড়িবহর বের হওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা আ.স.ম. আবদুর রব। মি. রব বলেন, "হামলাকারীরা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করেছে কয়েকবার। আমাদের ঐক্য ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপরেও হামলা করা হয়েছে।" জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এই শীর্ষ নেতা জানান, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ থেকে ঐক্য ফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেনের গাড়ি বের হয়ে গেলেও অন্যান্য কয়েকজন নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি বলেন, এই হামলায় তাঁর নিজের গাড়ির চালকও আহত হয়েছেন। মি. রব ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেন। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, "স্মৃতিসৌধের মূল বেদি থেকে গেটের বাইরে হইচই, দৌড়াদৌড়ি দেখে পুলিশ সেখানে যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা আর কাউকেই পেলাম না।" তবে নেতাকর্মী আহত হওয়া বা গাড়ি ভাঙচুরের কথা শোনা গেলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে সেরকম কোনো আলামত দেখতে পাননি বলে জানান মি. সেলিমুজ্জামান। মি. সেলিমুজ্জামান নিশ্চিত করেন যে এই ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের কারো পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আরো পড়তে পারেন: গাজীপুরে বিএনপি প্রার্থীকে ধরে নিল ডিবি পুলিশ তরুণ ভোটারদের প্রধান টার্গেট করবে বিএনপি গুগল সার্চে বাংলাদেশীরা যাদের বেশি খোঁজ করেছেন | ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | চার ধর্ষক ও হত্যাকারী অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত এবং মুকেশ সিং নামের চারজনকে ২০১৩ সালে একটি আদালত ফাঁসির আদেশ দেয়। দিল্লির তিহার কারাগারে এই চারজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ২০১৫ সালের পর থেকে ভারতে এটি হচ্ছে একমাত্র ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা। এই ঘটনায় নিহত তরুণী ভারতে 'নির্ভয়া' নামে পরিচিতি পেয়েছিল - আর চাঞ্চল্যকর সেই মামলার পর ভারতে বদলে গিয়েছিল ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তিও। এর আগে নির্ভয়ার পরিবার যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলো। ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করেছিল ওই চার জন। গণধর্ষণের পর শারীরিক নিপীড়ন চালিয়ে নগ্ন অবস্থায় চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নির্ভয়াকে। নির্ভয়া এবং তার পুরুষ বন্ধুর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় তারা। সেই মামলায় আগেই ওই চার জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে হত্যার দায়ে ছয় আসামির মধ্যে চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট চারজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ২০১৭ সালে সেই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল অন্যতম অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর সিং। গত মাসেই অবশ্য তার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। | ভারতে নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকারী চারজনের ফাঁসি কার্যকর |