instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাবরি মসজিদের ওপর জঙ্গী করসেবকরা। আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিবাদ নিয়ে মামলার জট খুলে গেল। অযোধ্যা শহরে ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর সপ্তদশ শতকে তৈরি ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছিল উন্মত্ত হিন্দু জনতা। এ ঘটনার পর ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে তাতে নিহত হয় প্রায় ২০০০ মানুষ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তার সাথে বাবরি মসজিদ মামলার একটা যোগাযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলছে, ইসলাম ধর্মে উপাসনার জন্য মসজিদ অত্যাবশ্যকীয় কিনা তার ওপর আগের এক আদালত ১৯৯৪ সালে যে রায় দিয়েছিল সেটা তারা বিবেচনা করবে না। বাবরি মসজিদের ওপর রাম মন্দির নির্মাণ করা যাবে কি না সেই সিদ্ধান্তের ওপর বৃহস্পতিবারের রায়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মূল মামলার শুনানি অক্টোবরের শেষ নাগাদ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এর আগে বলেছে যে বাবরি মসজিদের জায়গাতেই তারা রাম মন্দির নির্মাণ করবে। ফলে আগামী বছর এপ্রিল বা মে মাসে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগেই যদি মূল মামলার রায় হয়ে যায় সেটা বিজেপির জন্য রাজনৈতিক সুফল বয়ে আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আরো পড়তে পারেন: গণহত্যার স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আপনাদের পছন্দের স্থানগুলো দেখুন ছবিতে গুগল সম্পর্কে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট: বাবরি মসজিদের জমি হুকুম দখল করতে পারবে সরকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সাময়িকীটির চূড়ান্ত বাছাইয়ের তালিকায় ছিলেন আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি, ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উবার ট্যাক্সি কোম্পানির প্রধান ট্রাভিস কালানিক। এদের পেছনে ফেলে শীর্ষ ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন এঙ্গেলা মেরকেল। ১৯২৭ সালের পর থেকে মিসেস মেরকেল নিয়ে মাত্র চারজন মহিলা সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মান পেলেন। টাইম ম্যাগাজিন ইউরোপের অভিবাসন সংকট এবং ঋণ সমস্যা মোকাবেলায় মিসেস মেরকেলের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। সাময়িকীর সম্পাদক ন্যান্সি গিবস্‌ বলেছেন মিসেস মেরকেল ''নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন যা আজকের দুনিয়ায় বিরল।'' ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল বাগদাদি দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে এসেছেন আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিস গিবস্‌ মিসেস মেরকেল প্রসঙ্গে লিখেছেন, ''তিনি নিজের দেশের কাছ থেকে যা চেয়েছেন তা চাইতে অনেক রাজনীতিকই সাহস পাবেন না- তার সেই সাহসিকতার জন্য, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের জন্য এবং নৈতিকতাকে ভিত্তি করে নেতৃত্ব দেওয়া যা আজকের বিশ্বে বিরল- এসবের কারণেই তিনি টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫-র সেরা ব্যক্তিত্ব হয়েছেন।'' ইউরোপের শরণার্থী ও গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট, সেইসঙ্গে প্যারিস হামলার প্রসঙ্গে টেনে মিস গিবস আরও লিখেছেন, ''এই সবগুলো ক্ষেত্রেই এগিয়ে এসেছেন মিসেস মেরকেল। তার কঠিন শর্ত বজায় রেখেও গ্রিসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন- ইসলামী মৌলবাদের শিকার যারা তাদের শরণার্থী হিসাবে গ্রহণ করেছেন তিনি।'' টাইম ম্যাগাজিন পাঠকদের ভোট আহ্বান করলেও বিজয়ী নির্বাচনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সম্পাদকরা। এর আগে এই খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকায় অ্যাডল্ফ হিটলার, জোসেফ স্তালিন, মহাত্মা গান্ধী, উইন্সটন চার্চিল ও রিচার্ড নিক্সন-এর পাশাপাশি এখন যোগ হল ৬১ বছর বয়সী এঙ্গেলা মেরকেল-এর নাম।
টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫র সেরা ব্যক্তিত্ব এঙ্গেলা মেরকেল
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলা বন্ডের লেনদেনের উদ্বোধনের সময় লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের টিভি স্ক্রিনে বাংলাদেশের পতাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার সাথে যুক্ত এ ধরনের বন্ড এই প্রথম। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে অর্থায়নের জন্য এক কোটি ডলারের সম-পরিমাণ এই বন্ড ইস্যু করেছে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আইএফসি (ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স কর্পোরেশন) যারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়। ২০১৫ সালে বিদেশে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকায় বন্ড ছাড়ার অনুমতি পায় আইএফসি। চার বছর পর বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পূঁজি বাজারে সেই বন্ডের লেনদেন শুরু হলো আজ (সোমবার)। তিন-বছর মেয়াদ বাংলা বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে এক কোটি ডলারের মত যা বাংলাদেশ টাকায় ঋণ দেওয়া হবে বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির দুটো বিনিয়োগ প্রকল্পে। তিন বছর মেয়াদী এই বন্ডে বিনিয়োগকারীরা প্রায় সাড়ে ছয় শতাংশ হারে সুদ পাবেন। প্রাণ কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হবে সাড় নয় শতাংশ হারে। কেন এই বাংলা বন্ড কিন্তু কেন বন্ড ছেড়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের অর্থ জোগাড়ের প্রয়োজন হলো? এর ফলে লাভ হবে কী বাংলাদেশের? বাংলা বন্ডের অভিষেক অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বাংলা বন্ডের লেনদেনের উদ্ধোধন করছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া ব্যাংকগুলোর জন্য দিনকে দিন কষ্টকর হয়ে পড়েছে, ফলে সরকার বিকল্প বিনিয়োগের রাস্তা খুঁজতে চায়। "প্রচুর পরিমাণে ঋণের টাকা অনাদায়ী পড়ে আছে। তাছাড়া, ব্যাংকগুলোকে স্বল্প সময়ের জন্য আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে হচ্ছে যেটা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টকর।" তিনি বলেন, বন্ড ছেড়ে বিনিয়োগ জোগাড় সারা বিশ্বেই একটি প্রচলিত পন্থা, বাংলাদেশে এখন সেই পথে পা দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আইএফসি আগামী এক বছরে ১০০ কোটি ডলার মূল্যমানের বন্ড ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। "ইতিমধ্যেই তিনশ থেকে চারশো মিলিয়ন ডলারের বন্ড নিয়ে তাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে।" বিদেশ থেকে বিনিয়োগ এনে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা রেহাই দিতে হবে - মুস্তাফা কামাল, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী (ডানে) আরও পড়ুন: রিজার্ভ চুরি: তিন বছর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা বাংলাদেশের বিপুল খেলাপি ঋণ কি আদায় হবে? 'বিদেশ থেকে টাকা তোলার এখনই সুযোগ' বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান যে অবস্থা তাতে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। "আমাদের আর্থিক অবস্থা এখন অনেক মজবুত। সবচেয়ে বড় কথা যে সব বেঞ্চমার্কের ভিত্তিতে কোনো দেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন তার অন্যতম হচ্ছে ঋণের পরিমাণ। বাংলাদেশে এখন জিডিপির তুলনায় ঋণের পরিমাণ মাত্রা ৩৪ শতাংশ যেটা পুরো বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন।" মন্ত্রী বলেন, এই 'ইতিবাচক' বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশে থেকে 'প্রতিযোগীতামূলক সুদে' বেসরকারি বিনিয়োগ জোগাড়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ছিলেন বাংলা বন্ডের লিস্টিং অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, এক কোটি ডলার দিয়ে সবে শুরু। টাকা বন্ড ছেড়ে বছরে ১০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিনিয়োগ জোগাড়ের লক্ষ্যে কাজ চলছে। "আইএফসি আমাদের কথা দিয়েছে।" জানা গেছে, যে পরিমাণ অর্থের বন্ড ছাড়া হয়েছিল, কেনার আগ্রহ ছিল তার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। কিনেছে বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিবিসিকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে বাংলা বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন সে ব্যাপারে রোড-শো আয়োজনের মত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি বাংলা বন্ডের ম্যানেজিং প্রতিষ্টানগুলোকে ( স্ট্যানচার্ট ব্যাংক এবং মেরিল লিঞ্চ) পরামর্শ দিচ্ছেন। "প্রবাসীরা বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে, এবং তারা কিনলে বন্ডের দামও বাড়বে।" বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করছে, তবে প্রয়োজন ভালো প্রকল্পের - আইএফসির সিনিয়র কর্মকর্তা কেশব গৌর মুনাফা বেশি, তাই টাকায় বিনিয়োগে আগ্রহ বিদেশে বন্ড ছেড়ে বাংলাদেশের বছরে জন্য একশ কোটি সমপরিমাণ ডলার যে আশাবাদ সালমান রহমান বা অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল করেছেন, আইএফসি কর্মকর্তারা সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে আইএফসির সিনিয়র কর্মকর্তা কেশব গৌর বিবিসিকে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উঁচু হারে মুনাফা পাওয়ার সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। "কোনো দেশের মুদ্রা যদি স্থিতিশীল হয় তাহলে তা লোভনীয় হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটাই দেখা যাচ্ছে।" তিনি বলেন, টাকা স্থিতিশীল, অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। বৈদিশিক মুদ্রার সাথে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল "এমন অবস্থা থাকলে যে কোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ থেকে ভালো মুনাফা পাবন। এখনকার বিশ্বে খুব কম জায়গাতেই বিনিয়োগ থেকে বড় মুনাফা আসে। সুতরাং ডলারে বিনিয়োগ না করে অনেক মানুষই টাকায় বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে। তবে, মি. গৌর বলেন, সেই আগ্রহের মাত্রা কী হবে বা তা কতদিন থাকবে তা নির্ভর করবে কতগুলো বিষয়ের ওপর - বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কতটা অব্যাহত থাকবে, অভ্যন্তরীণ সুদের হার কী হবে এবং কত ভালো বিনিয়োগ প্রকল্প সেখানে পাওয়া যাবে। "এখনকার বিশ্বের বিনিয়োগের অভাব নেই, সমস্যা হচ্ছে ভালো প্রকল্প।"
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ‘বাংলা বন্ড', টাকায় আগ্রহ কেন
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী আট বছরে দেশে প্রায় আটশ মানুষ গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা সেতু তৈরির জন্য মানুষের মাথা দরকার-এমন গুজবে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্নস্থানে ছেলেধরা আতঙ্কের জের ধরে গণপিটুনিতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। গণপিটুনির প্রবণতা নিয়ে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীব নন্দী। তিনি বলছেন, ভারতের বিহার, লক্ষ্মৌ, দিল্লী, আসাম, আগরতলা, কলকাতা এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া ও ঢাকার তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। মিস্টার নন্দীর মতে সম্প্রতি 'ছেলেধরা' গুজবের ফলে সৃষ্ট গণপিটুনি অতীতের গণপিটুনির প্যাটার্নগুলোর চেয়ে ভিন্ন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'গণপিটুনিতে নিহত ৮ জনের কেউই ছেলেধরা ছিল না' সামাজিক মাধ্যমে গুজব বন্ধ করা সম্ভব? কিভাবে ? প্রতিশোধ নিতেও ব্যবহার হচ্ছে 'ছেলেধরা' আতঙ্কের বাংলাদেশের মানুষ কেন নির্মম হয়ে উঠছে? গণপিটুনি প্রতিরোধে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উপস্থিত থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য ভারত-বাংলাদেশ: গণপিটুনিতে মিল আছে? রাজীব নন্দী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশে গণপিটুনির মাত্রাগত পার্থক্য আছে। যেমন: ভারতে গোরক্ষকদের গণপিটুনির শিকার হয় মূলত মুসলিম সম্প্রদায়, যারা ভারতে সংখ্যালঘু। ভারতের এই গণপিটুনি সংস্কৃতির পেছনে রাষ্ট্রীয় নীরবতা একটি বিশেষ উৎসাহ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে গণপিটুনি ও প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা পুরোপুরি ভারতের মতো নয়। বাংলাদেশের ঘটনায় মূলত জনতার প্রতিরোধহীনতা তথা নিষ্ক্রিয়তা অন্যতম দিক। তিনি বলেন, আমিনবাজারে ৬ ছাত্র, নোয়াখালীতে কিশোর, শাবিপ্রবির দুই ছাত্রকে গণপিটুনি সারাদেশে আলোড়ন তৈরি করলেও তা ভারতের মতো সুনির্দিষ্ট ইস্যু ভিত্তিক ছিলো না। রাজীব নন্দী বলছেন, ভারতে গত ২০১৮ সালে মে-জুন মাসে ছেলেধরা গুজবে হোয়াটসএপের বার্তা বিকৃতির কারণে ১৯ জনকে পিটিয়ে মারা হয়। এক বছর না যেতেই ফেসবুক ও নিউমিডিয়া ব্যবহার করে বাংলাদেশেও চলতি জুন-জুলাই মাসে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। তিনি বলেন, দুই দেশেই সমাজে জনতার হাতে আইন তুলে নেয়ার প্রবণতা দিনদিন ভয়াবহ হচ্ছে। "এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু গণপিটুনির ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গণপিটুনির পর জনতা নিজ উদ্যোগে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে ভিকটিমকে"। বিচার হয়না কেন? রাজীব নন্দী বিবিসি বাংলাকে বলেন, দুই দেশেই গত ১০ বছরে চাঞ্চল্যকর ২০টি গণপিটুনির কোন বিচার হয়নি এবং সঠিক তদন্তও হয়নি। "গণপিটুনি এবং সামাজিক সহিংসতার জন্য মানুষের নির্বিকার হিংস্র মনোভঙ্গি এবং অপরাপর মানুষের নিষ্ক্রিয়তা অন্যতম দায়ী। দুই রাষ্ট্রই এই গণপিটুনির দায় এড়াতে পারে না"। আইনজীবী কিংবা এসব ঘটনার দিকে নজর রাখেন এমন অনেকে বলছেন, ভিকটিম পরিবারগুলো থেকে কেউ এগিয়ে না আসার কারণেও ঘটনার পর বিষয়গুলোর দিকে খুব বেশিদিন কারও নজর থাকেনা। আবার পুলিশ বাদী মামলাগুলোতে অনেক অজ্ঞাত আসামী থাকে যেগুলো নিয়ে পরে তদন্ত আর বেশি দুর অগ্রসর হয় না। তবে মানবাধিকার কর্মী নিনা গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ২০১৮ সালে পুরো বছরে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলো ৩৯ জন আর এবার প্রথম ছয় মাসেই ৩৬ জন নিহত হয়েছে। "এ থেকেই বোঝা যায় যে প্রবণতা কেমন হারে বাড়ছে। এর কারণ হলো এসব ঘটনায় ভিকটিমদের পক্ষে কেউ শক্ত ভাবে দাঁড়ায়না। মামলাগুলোকে এগিয়ে নেয়া, অপরাধীদের সনাক্ত করার ক্ষেত্রে যদি সরকার দৃঢ় হতো তাহলে এমন পরিস্থিতি হতোনা," বলছিলেন নিনা গোস্বামী। তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ হয়ে করলে কোনো শাস্তি হয়না এমন ধারণাও অনেকের মনে আছে এবং সে কারণে তারা এর সুযোগ নেয়। "এটা যে অপরাধ। সেই বোধটাই কথিত সংঘবদ্ধদের মাথায় আসেনা। বিচার না হওয়ার কারণেই এমন ধারণা তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে"। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন এখানে সুনির্দিষ্ট আইন আছে কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ হয়না বলেই একটি বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। "ধরুন মব হলো, যে কোনো কারণেই হোক। কিন্তু কাউকে আঘাত করলে ও তাতে ইনজুরি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুনির্দিষ্ট বিধান আছে। আঘাত করলে কোন ধারায় আসবে কিংবা হত্যায় কোন ধারায় আসবে সবই যথেষ্ট নির্ধারিত আছে। আর এগুলো প্রকাশ্যে ঘটে বলে প্রমাণ করাও কষ্টকর কিছু না," বলছিলেন মি: বড়ুয়া। তিনি বলেন, সমস্যা হলো এসব বিষয়ে নীরবতা কাজ করছে। আর সে কারণেই আইনের প্রয়োগ নেই। আবার বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই মানুষেরও আস্থা নেই। নিহত বা ভিকটিমের পরিবার থেকে বিচার চাইতে এগিয়ে না আসা ঘটনার বিচার না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার বড়ুয়া বলেন, অভিযোগ হলো কিনা তা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। তার মতে, "কেউ খুন হলে কোনো অভিযোগ না আসলেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব অপরাধীকে খুঁজে বের করে বিচারের ব্যবস্থা করা। এখন অনেক ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, যারা ঘটাচ্ছে তারাও সাধারণ মানুষ, আবার ভিকটিমও সাধারণ মানুষ। অর্থাৎ বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে কেউ অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ তার শিকার হচ্ছে। এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে"।
বাংলাদেশে গণপিটুনিতে হত্যার বিচার হয়না কেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
অপরাধ তথ্য বিভাগ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল মাসুদ বলছেন, এনসিএমইসির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে তারা আমাদের অনেক তথ্য দিচ্ছে। "আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখি। তার কিছু থাকে ইন্টেলিজেন্স, কিছু সতর্কতামূলক, কিছু সরাসরি শিশুদের নির্যাতনের। আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করে বিভিন্ন ঘটনায় পদক্ষেপ নিচ্ছি।" মোবাইলে শিশু নিপীড়নের তথ্যটি ইন্টারনেটে সংযুক্ত মোবাইল ডিভাইসে রাখার পরেই শনাক্ত করে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল। এরপর গুগল সেটি জানায় ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি)। তারা এই তথ্যটি বাংলাদেশের সিআইডির কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এরপর সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ ওই নিপীড়ককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান - যারা শিশু যৌন নির্যাতন ও শিশু পর্নোগ্রাফি বন্ধে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত গুগল, ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নেটওয়ার্কে শিশুদের যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে থাকে। তারা সেসব তথ্য বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এই এনসিএমইসির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের অপরাধ তথ্য বিভাগ (সিআইডি)। বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল মাসুদ জানান, সংস্থাটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতন: শিশুদের কীভাবে সচেতন করবেন 'উত্যক্তকারী, প্রতিবেশীদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার ২১২ শিশু' যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে 'চিন্তিত' মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষরা শিশুদের যৌন নিপীড়ণের হাত থেকে রক্ষা করার উপায় কি? নিপীড়ন প্রতিরোধে শিশুদের যৌন হয়রানি বিষয়ে সচেতন করতে হবে বরিশালের শিশু নিপীড়নের ওই ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় দেড় বছর আগে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই নিপীড়ক তরুণকে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে গত ১২ই জানুয়ারি গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তিনি সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন। বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিনি শিশুটিকে নিপীড়ন করেছিলেন। বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিশু নিপীড়নের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ওই তরুণ। কিন্তু ঘটনার শিকার শিশুর পরিবার মামলা করতে রাজি হয়নি। ফলে সিআইডির এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল মাসুদ বলছেন, ''আমার তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়ে শিশু বা ছেলে শিশু নিপীড়নের ঘটনাগুলো ঘটছে নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে। ফলে আমরা গ্রেপ্তার করার পরেও অনেক সময় পরিবারগুলো মামলা করতে চায় না।'' তিনি জানান, গুগল বা ফেসবুকের মাধ্যমে পাওয়া আরও বেশ কিছু তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। সেগুলো নিয়েও আরও কিছু অভিযানের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রথমবারের মতো বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিলাসবহুল অট্টালিকা 'পুতিনের প্রাসাদ' কার তা নিয়ে বিতর্ক জাপানে দশ বছর ধরে মায়ের লাশ ফ্রিজে রেখে দিলো মেয়ে
গুগলের দেয়া তথ্যে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের শিশু যৌন নিপীড়ক
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বর্জ্য পানি পরীক্ষা করে জানা সম্ভব সেখানে কি পরিমাণে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। বলা হচ্ছে, নিয়মিত বর্জ্য পানি পরীক্ষা করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে অগ্রিম পূর্বাভাসের একটি ব্যবস্থা হতে পারে। গবেষণাটি যেভাবে হয়েছে জুলাই মাসের দশ তারিখ থেকে ২৭শে আগস্ট পর্যন্ত সময় জুড়ে নোয়াখালীতে অবস্থিত একটি আইসোলেশন কেন্দ্রের আশপাশে কয়েকটি জায়গার ড্রেন থেকে বর্জ্য পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। গবেষকদের একজন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান ড. মুহাম্মদ মাকসুদ হোসেন বলছেন, "ধরুন একটা ছাকনির মতো যেখানে সংগ্রহ করা বর্জ্য পানির ভাইরাসগুলো আটকে যাবে, সেগুলোকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে মানুষের শরীরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয় সেরকমই রিয়াল-টাইম পিসিআরে পরীক্ষা করে আমরা সংগ্রহ করা বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাসের কয়েকটি জিনের অস্তিত্ব পেয়েছি।" তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ইতিমধ্যেই যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো দিয়েই এই পরীক্ষা খুব কম খরচে করা হয়েছে। বর্জ্য পানিতে রাসায়নিক পদার্থ সহ আরও অনেককিছু থাকে। "একটি ফিল্টার যার দাম কয়েক হাজার টাকা, পরীক্ষার জন্য দরকারি রি-এজেন্ট পলিথাইলিন গ্লাইকনের জন্য আমাদের খরচ হয়েছে ১৫,০০০ টাকার মত। রিয়াল-টাইম পিসিআর মেশিন আছে এমন যে কোন ল্যাবে এই পরীক্ষা করা যাবে।" করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর থেকে প্রতিদিন এই ভাইরাসটি সম্পর্কে নতুন নতুন নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। করোনাভাইরাস বাতাস, হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। ড. হোসেন বলছেন, পানি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোন তথ্য এখনো জানা নেই। কিন্তু বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাসের জিন শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। অগ্রিম পূর্বাভাস ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা এর আগে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে সুয়ারেজ থেকে সংগ্রহ করা পানি পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি বলছে, বর্জ্য পানি পরীক্ষা করে জানা সম্ভব সেখানে কি পরিমাণে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। বর্জ্য পানি পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অগ্রিম পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব। অন্তত এক সপ্তাহ আগে একটি এলাকায় কি ধরনের সংক্রমণ হতে যাচ্ছে সেটির সম্ভাব্য পরিস্থিতি আঁচ করা সহজ করে দিতে পারে বর্জ্য পানি গবেষণা। বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে করা গবেষণাটির সাথে যুক্ত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলছেন, বর্জ্য পানি পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অগ্রিম পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ দেখা দিতে কয়েকদিন সময় লাগে। তারপর টেস্ট করতে আরও কয়েকদিন। কিন্তু শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশের পর মানুষের মলে এর উপস্থিতি থাকে এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার অনেক আগেই এই ভাইরাস মলের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থায় চলে যায়" করোনাভাইরাসের কারণে বেড়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস যত্রতত্র ফেলে যে ক্ষতি করছেন অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলছেন, "বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য পানি পরীক্ষার মাধ্যমে একটি ম্যাপিং করা সম্ভব। কোন এলাকায় এর উপস্থিতি কত বেশি রয়েছে সেই অনুযায়ী সরকার আগেভাগে পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা নিতে পারবে। কোথায় লকডাউন লাগবে বা কোথায় আর একটু সহজ ব্যবস্থা নিলেই হবে সে ব্যাপারে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।" বাংলাদেশে অনেকেই পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি বলছেন, কিছুদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ আসছে কিনা সেটি সম্পর্কে এই অগ্রিম পূর্বাভাস অনেক কাজে দিতে পারে। তবে বর্জ্য পানিতে রাসায়নিক পদার্থ সহ আরও অনেককিছু থাকে। যা এতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা কঠিন করে তুলতে পারে। উপসর্গহীনদের শনাক্ত করা বাংলাদেশে অনেকেই পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন। অনেকে সামাজিক হেনস্থার ভয়ে পরীক্ষা করাতে চান না। অন্যদিকে উপসর্গহীনরা খুব স্বভাবতই নমুনা দিতে যান না। কিন্তু তারা অন্যদের সংক্রমিত করেন। ড. মুহাম্মদ মাকসুদ হোসেন বলছেন, "কোন এলাকায় বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাসের জিনের উপস্থিতি থাকা মানে সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। এক্ষেত্রে বাড়িবাড়ি গিয়ে সার্ভেইলেন্স করে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা সম্ভব।" বর্জ্য পানি পরীক্ষা করে জানা সম্ভব সেখানে কি পরিমাণে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। পানি থেকে কি সংক্রমণ সম্ভব? এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, পাইপের মাধ্যমে যে পানি আমরা পাই তার মাধ্যমে কি করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্ভব? ভাইরলজিষ্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ঢাকা শহরের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, "ঢাকাতে সার্বক্ষণিক পানি সাপ্লাই করা হয় না। পানির পাইপে যদি সবসময় পানির সাপ্লাই-এর প্রেশার থাকে তাহলে যদি পাইপে ফুটো থাকেও সেখান থেকে অন্য কিছু প্রবেশ করতে পারে না" "কিন্তু যখন পানির পাম্প বন্ধ করা হয় তখন এই প্রেশারটা থাকে না। সেক্ষেত্রে বাইরের পানি ওই পাইপলাইনে প্রবেশ করে। ঢাকায় অনেক ক্ষেত্রে পানির লাইন ও সুয়ারেজ লাইন পাশাপাশি গেছে। সুয়ারেজ লাইনেও যদি ফুটো থাকে তাহলে সেখান থেকে নোংরা পানি সাপ্লাই পানির লাইনে ঢুকে যেতেই পারে।" আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? তিনি বলছেন, পানিতে করোনাভাইরাস কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এটি নির্ভর করে কোন ধরনের পানিতে সে রয়েছে। তাই আশঙ্কা থেকেই যায় যে পানির মাধ্যমেও হয়ত সংক্রমণ সম্ভব। যদিও এব্যাপারে আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করছেন। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। হাসপাতালের বর্জ্য পানি শোধন যেসব হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে, যেসব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে এবং আইসোলেশন সেন্টারগুলোর সাথে সংযুক্ত ড্রেন থেকে যে বর্জ্য পানি বের হয় তা শোধন করার কথা বলছেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলছেন, "ঢাকা শহরে সুয়ারেজ লাইনের পানিতে আপনি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাবেনই। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। আমরা হাসপাতালের বর্জ্য পানি পরিশোধনের কথা অনেকবার বলেছি। হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারগুলোর বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি খুব বেশি থাকবে। তাই সেখানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো দরকার। "সেখান থেকে যে বর্জ্য পানি বের হয় তা প্রধান সুয়ারেজ লাইনে পৌঁছানোর আগেই যেন তা শোধন করা যায়। এতে এসব হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসের জিন শহরের প্রধান সুয়ারেজ ব্যবস্থায় প্রবেশ ঠেকানো যাবে। এটি ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার একটি উপায় হতে পারে।"
করোনা ভাইরাস: বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাস যেভাবে পূর্বাভাস দিতে পারে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
কসবায় উদ্ধার করা গাঁজার একাংশ। পুলিশ এখন কসবা থানার দু'জন এসআই, দু'জন এএসআই এবং দু'জন কনস্টেবলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ঐ ছয় জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গাঁজা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর তিনি তদন্ত চালিয়ে কসবা থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। গত মঙ্গলবার কসবা থেকে দুটি প্রাইভেট কারে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালায়। দুই গাড়ি থেকে মোট ২০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পরে মাত্র ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামলা দায়ের করেন। মাদক যেভাবে ঢাকায় যায় মাদকের প্রতিটি চালানের সাথে গড়ে ১৫ জন করে লোক নিয়োজিত থাকে। বিবিসির সাথে আলাপকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, চোরাচালানের জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন কায়দা ব্যবহার করে থাকে। তিনি বলেন, একবার ট্রাকের তেলের ট্যাংকের মধ্য থেকে তারা মাদক উদ্ধার করেছেন। মি. হোসাইন বলেন, মাদক পাচারকারীদের যাতে সহজে শনাক্ত করা না যায় এজন্য তারা চালান প্রতি গড়ে ১৫ জন করে লোক নিয়োগ করে। যাদের এই কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের একটা বড় অংশ দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি কিংবা রিকশাচালক, তিনি বলেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরা জেনেশুনে মাদক পাচারে অংশ নেয় না। তাদের অজান্তে তাদের ব্যবহার করা হয়। "এরা কাট-আউট পদ্ধতি ব্যবহার করে। একজনের খবর অন্যজন জানে না," বলছিলেন তিনি, "আমরা একটি ঘটনায় পাঁচ জনকে আটকাতে পেরেছিলাম। কিন্তু তারপরও কাট-আউট পদ্ধতির কারণে পুরো চেইনটিকে খুঁজে বের করতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগে যায়।" ফলে এই ধরনের মাদক মামলার তদন্তে দীর্ঘ সময় লেগে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা মনে করেন, দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তারা যদি 'স্নিফার ডগ' বা পুলিশ কুকুর ব্যবহার করতে পারতেন তাহলে মাদক শনাক্ত করা কাজ আরও সহজ হতো। "প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করতে পারলে এই এলাকায় মাদক চোরাচালান ৯০% কমিয়ে আনা সম্ভব হবে," মি. হোসাইন বলেন। আরও দেখুন: উড়ন্ত গাড়ির স্বপ্ন কি এবার বাস্তব হয়ে ওঠার পথে? কিভাবে সম্ভব হলো কিম-ট্রাম্প বৈঠকের উদ্যোগ ?
বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাদক যেভাবে ঢাকায় পৌঁছায়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন নেতা লুৎফুন্নাহার লুমাকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় গত বুধবার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে বলেছেন, তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সরকার দমন নীতি চালাচ্ছে। গত ২৯শে জুলাই ঢাকায় বাস চাপায় দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষুব্ধ আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়। আরও পড়ুন: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী মারা গেছেন যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম বাংলাদেশের যে এলাকায় ছাগল পালন নিষিদ্ধ এপর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে নর্থ সাউথ এবং ইস্ট ওয়েস্ট -এই দু'টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যারয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে গত সপ্তাহেই দু'দিনের করে রিমান্ড শেষে কারাগারে রাখা হয়েছে। এরপর গত কয়েকদিনে গ্রেফতারকৃত বাকি শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আগে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিতে সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল। সেই আন্দোলনেরও কয়েকজন নেতা এখন গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন নেতা লুৎফুন্নাহার লুমাকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় গত বুধবার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, পরিস্থিতির কারণে তাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভয় তৈরি হয়েছে। "অনেকের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করতেছে।এখন অনেক জেনারেল স্টুডেন্ট ছিল, যারা এরআগে কখনও কোনো ধরণের আন্দোলনে আসেনি।তাদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, এই যে ধরে নিয়ে যাওয়া বা জেলে নিয়ে যাওয়া, এই এক্সপেরিয়েন্সটাতো কারও নাই।এখন যে মামলা দিয়ে দিলো, ধরে নিয়ে গেলো, এটাতো তাদের সারা জীবন ট্রমা হিসেবে থাকবে।" "মামলার কারণে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। আবার মামলা চালানোরও একটা ব্যাপার আছে।পরিবারকে দীর্ঘসময় মামলা চালাতে হতে পারে।" ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৫১টি মামলা হয়েছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ৫১টি। এসব মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা কয়েকশ। ফলে যাদের আটক করা হয়, তাদের পরে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন শেষ করে ক্লাসে ফিরে গিয়েছিল।কিন্তু পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যারয়ের শিক্ষার্থীরা নেমেছিলেন। তখনই সহিংসতা হয়েছে এবং গুজব ছড়ানোসহ নানান ধরণের উস্কানিমূলক কর্মকান্ড চলেছে বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন,সুনির্দিষ্ট দু'টি অভিযোগে ভাগ করে মামলাগুলো হয়েছে। "৫১টি মামলার মধ্যে আটটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রুজু হয়েছে। যেখানে ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার বা গুজব, এ ধরণের কনটেন্ট বা কমেন্ট লেখা বা লাইক দেয়া-এ রকম কিছু বিষয় ছিল।আর বাকি ৪৩টি মামলা হয়েছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতার বিভিন্ন অভিযোগে।" তবে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হেলমেট পরা যুবকদের হামলার ঘটনাগুলোও আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর দমননীতি চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মি সুলতানা কামাল। "হেলমেট পরে লাঠিসোটা নিয়ে নামলা, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না।কিন্তু খুঁজে খুঁজে ছাত্রদের এমনকি সিরাজগঞ্জ থেকেও একজন ছাত্রীকে ধরে আনা হয়েছে।এ ধরণের পদক্ষেপগুলো কিন্তু সরকারের হার্ডলাইনে মানে দমননীতির পর্যায়ে পরে যায়।" সরকারের সিনিয়র একাধিক মন্ত্রীর সাথে কথা বলে মনে হয়েছে যে, নির্বাচনের আগে তাদেরকে বিরোধীপক্ষ চাপে ফেলতে চাইবে।সেজন্য সামাজিক ইস্যু ধরে রাজপথ উত্তপ্ত করার আরও চেষ্টা হতে পারে বলে তারা মনে করেন। আর সেকারণে তারা এখন কঠোর অবস্থান নিয়ে একটা বার্তা দিতে চাইছেন। এছাড়া তারা মনে করেন, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায় তাতে রাজনীতি ঢুকে পড়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তথ্য প্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে, তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক: আন্দোলনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শ'খানেক শিক্ষার্থীকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এলাকা। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কনস্যুলার সেকশনে কিছু চোর ঢুকে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার চুরি করে নিয়ে গেছে, বলছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর থেকে মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটি সাথে সাথেই ঢাকায় স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং একটি এফআইআর নিবন্ধন করা হয়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করেছে যে তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানিয়েছে এবং হাই কমিশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যেও তারা সরকারকে অনুরোধ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি হাই কমিশনের ভবন কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত যা অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকা। এরকম একটি জায়গায় এভাবে চুরির ঘটনা বড় রকমের উদ্বেগের কারণ। "আমরা ঢাকা ও ইসলামাবাদে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। যেহেতু হাই কমিশনটি বাংলাদেশে তাই তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।" পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশ সরকারকে এই ঘটনার তদন্ত করা এবং এর ফলাফল পাকিস্তানকে জানানোর দাবি জানিয়েছে। চোরদের গ্রেফতার করে তাদেরও বিচারেরও দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। আরো পড়তে পারেন: জনগণের বুকে গুলি চালাবেন না: তারেক রহমান শেখ তন্ময়কে নিয়ে হইচই, তিনি কতটা জানেন? বেঁচে থাকার জন্যে কেন ৫৩৬ খৃস্টাব্দ ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ? বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, পাকিস্তান হাই কমিশনে চুরির ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই। তবে ঢাকায় কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চুরির এই ঘটনা সম্পর্কে তারা অবহিত আছেন। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনে কম্পিউটার চুরির প্রতিবাদ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় বাসায় বন্দি শহরের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেপ্টেম্বরেও স্কুল খোলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেছেন, কবে নাগাদ স্কুল খুলবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার ওপর এটি নির্ভর করছে বলে তিনি জানান। "ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্কুল এখনই খোলা হবে না। কবে নাগাদ খুলবে সেটাও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সবই নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা, সেটার ওপরে।" এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর আগেই বাংলাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) অনুষ্ঠিত হয়ে যায় এবং ফলও প্রকাশ পায়৷ কিন্তু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অষ্টম শ্রেণীর শেষে জেএসসি বা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষায় চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ২৬শে মার্চ থেকেই আনুষ্ঠানিক লকডাউন শুরু হয়। স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয় ১৭ই মার্চ থেকে। মে মাসের শেষে এসে লকডাউন তুলে দেয়া হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ওই দুটি পরীক্ষা আয়োজন থেকে পিছিয়ে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কবে পরীক্ষা হবে তবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়৷ এটাও নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। ১৭ই মার্চ থেকে থেকে স্কুলগুলোয় আর আগের মতো কোন ক্লাস-পরীক্ষা চলছে না তবে মি. ফারুক বলেছেন, যে মুহূর্তে মনে হবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা মোটামোটি নিরাপদ তারপর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হবে। পরীক্ষার ১৫ দিন আগে শিক্ষার্থীদের তা জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্থাৎ এক শিক্ষার্থী থেকে আরেক শিক্ষার্থীর মাঝে দূরত্ব রেখে পরীক্ষা নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে বলে জানান মি. ফারুক। এ নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ এদিকে পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদি এরমধ্যে স্কুল খুলে যায় তাহলে এই পরীক্ষা নেয়া হবে, না হলে বিকল্প অন্য কোন উপায়ে মূল্যায়ন বা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানান মি. ফারুক। এর আগে পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা না নেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সপ্তাহে মতামত পাঠানো হয়েছিল৷ আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? নিরাপদে স্কুল খুলতে যেসব নির্দেশনা মানার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কী ভাবছে কর্তৃপক্ষ? পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ দিয়ে দেবে সরকার নবম থেকে এসএসসি পর্যন্ত পাঁচজনের একজন ঝরে পড়ছে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে এ মাসে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এদিকে, কবে স্কুল খুলবে, কবে পরীক্ষা হবে সেটা নিয়ে এক ধরণের মানসিক চাপের মধ্যে আছেন শিক্ষার্থীরা। তবে কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও এই মহামারীর মধ্যে তারা তাদের সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পাঠাবেন না৷
করোনা ভাইরাস: সেপ্টেম্বরে কি স্কুল খুলবে? এইচএসসি পরীক্ষা কবে হতে পারে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
একসময় পাট ছিল বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরি ফসল। বাংলাদেশের এই পাটের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ফ্রান্সের প্যারিসে গত ৯ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন তৃণা খান। সেখানে স্থানীয়দের নানান ধরণের পাটজাত পণ্য ব্যবহার করতে দেখেছেন তিনি। অথচ পাট-পণ্য ব্যবহারকারী সেই বিদেশি ক্রেতাদের অধিকাংশই জানেন না এই পাটের উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। মিসেস খান বলেন, "আমি প্যারিসসহ আশেপাশের ছোট শহরগুলোতে মানুষকে পাটের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে দেখেছি।" "এমনকি ফাইভস্টার হোটেলগুলোতেও দেখি আমাদের দেশের পাটের তৈরি কার্পেট। কিন্তু তারা এই সব জিনিসই কিনেছে ভারতের কাছ থেকে। কেউ জানেই না যে পাট বাংলাদেশে উৎপাদন হয়।" ঢাকায় পাটপণ্যের মেলায় পাটের কার্পেট সাজিয়ে বসেছেন দোকানি। আরও পড়তে পারেন: একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব সীমান্তে যে কারণে কমছে বাংলাদেশী হত্যা বিশ্বের নানা দেশে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের নানা ধরণের পণ্য। অথচ সম্ভাবনাময় এই খাতে বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে। বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ২২টি পাটকল চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে ৩৯৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে। দক্ষ জনশক্তির অভাব, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা এবং বিপণনে দক্ষতা না থাকার কারণে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করেন জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। "বাজার ধরার মতো স্ট্রং মার্কেটিং আমাদের নেই, এটা পলিসি লেভেলের ব্যাপার। ভারত আধুনিক মেশিনে পাট প্রসেস করে বিদেশে রপ্তানি করছে। আর আমাদের মেশিন সেই মান্ধাতার আমলের।" "এছাড়া পাটকলগুলোয় দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। আমাদের দক্ষ লোক দরকার। দক্ষ বলতে , টেকনিক্যাল ম্যানপাওয়ার।" নানা ধরণের পাটপণ্য তৈরি করছেন এক নারী। পাটের উৎপাদনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় দেশ হলেও পাটের বর্তমান বিশ্ব বাজার দখল করছে ভারত। বাংলাদেশে উৎপাদিত এসব পাটের কাঁচামাল ভারতেই সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় এবং বিদেশি ক্রেতারা এই পণ্যগুলো সরাসরি বাংলাদেশ থেকে নয় বরং ভারতের কাছ থেকে কিনে থাকে। ফলে বাংলাদেশ পাট প্রক্রিয়াজাত করে লাভ গুনছে ভারতের বাজার। বৈদেশিক চাহিদা অনুযায়ী তৈরি পণ্য রপ্তানি, সেইসঙ্গে সুশৃঙ্খল বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের পাট ব্যবসায়ী তপন দাস। "ভারত পাট আমদানি করে সেটা নিজেদের মেশিনে প্রসেস করে পণ্য বানায় বিক্রি করে। আর তারা তাদের নিজেদের পুরো বাজারের চাহিদা নিজেরা মেটায়। তারমানে তাদের একটা মার্কেট প্রটেকশনের জায়গা পাচ্ছে।" পাট পণ্যের মেলা। এছাড়া বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে দেন-দরবার করতে না পারা সেইসঙ্গে সবচেয়ে ভাল মানের পাট রপ্তানি করে দেয়ার ফলে মানসম্মত পণ্য তৈরি করতে না পারায় বাংলাদেশ তার বাজার তৈরি করতে পারছে না বলে মনে করেন পাট পণ্যের উদ্যোক্তা শাফিয়া সামা। "ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দেশগুলোয় কার ইন্ড পাটের বড় একটা বাজার আছে। অথচ বাংলাদেশ সেই বাজারটা দখল করতে পারছে না দুটো কারণে।" "প্রথমত ভাল মান নিশ্চিত না করা ও দ্বিতীয়ত দাম নির্ধারণ করতে না পারা। বিদেশি বায়াররা এই দুটো জিনিসই সবার আগে দেখে।" এছাড়া পাট চাষিদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াকেও পাটের বাজার পড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ বলে তিনি মনে করেন। পাটের তৈরি বিভিন্ন আকারের ফ্লোরম্যাট ও টেবির ম্যাট। অন্যদিকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাটের বাজার পড়ে যাওয়ার পেছনে বিশ্বব্যাংকের একটি কারসাজিকে দায়ী করছেন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের বিপণন মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। বিশ্বব্যাংকের সেই ফর্মুলায় বাংলাদেশের আদমজি জুটমিল বন্ধ হয়ে যায় এবং সে সময় বাংলাদেশের পুরো বাজার ভারত দখল করে নেয় বলে জানান তিনি। "২০০২ সালের দিকে আদমজি জুট মিল বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বব্যাংকের ফর্মুলায়। ওইসময় বিশ্বব্যাংকের লোনে ইন্ডিয়াতে বড় মিল স্থাপিত হয়েছে। এতে ইন্ডিয়া লাভবান হলো, আমাদের সব বায়ার তারাই পেল।" বর্তমানে বাংলাদেশে পাটের বহুমাত্রিক ব্যবহার দেখা গেলেও দৃশ্যপট খুব একটা বদলায়নি।
বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মুশফিকুর রহিম বার্তা সংস্থা এএফপি এবং ঢাকার সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মুশফিকুর রহিম বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান নির্বাচককে ফোন করে জানান যে পাকিস্তান সফরে যেতে চান না। এর পর শুক্রবার বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুশফিকুর রহিম এ মর্মে বিসিবিকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে। মুশফিককে ছাড়াই পাকিস্তান সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষিত হবে বলে জানান তিনি। লাহোরে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৭শে জানুয়ারি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবার কথা। বাংলাদেশের প্রধান ক্রিকেট নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার রাতেই বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মুশফিকুর রহিম প্রধান নির্বাচককে ফোন করে জানিয়েছেন যে তিনি পাকিস্তান সফরে যাবেন না। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এবং সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ দলের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তান সফরের জটিলতা কাটলো, বাংলাদেশ এখন রাজী মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের হয়ে ৬৯টি টেস্ট, ২১৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক, এবং ৮৪টি টি২০ আন্তর্জাতিক খেলেছেন। টেস্ট, টি২০ ও একদিনের আন্তর্জাতিক মিলিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১৩টি সেঞ্চুরি এবং ৬৩টি ফিফটি করেছেন। বাংলাদেশ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিনবার পাকিস্তান যাবে এবং তিনটি টি২০, একটি ওডিআই এবং দুটি টেস্ট খেলবে। টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে লাহোরে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৭শে জানুয়ারি। পরের মাসে ৭ই ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে প্রথম টেস্ট । এর পর করাচিতে ৩রা এপ্রিল হবে একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, এবং ৫ই এপ্রিল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর আগে বলেছিল, বাংলাদেশ শুধু টি-২০ আন্তর্জাতিক খেলতে পাকিস্তান সফর করতে আগ্রহী, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই মুহূর্তে তারা পাকিস্তানে টেস্ট খেলার জন্য দীর্ঘ সফরে যেতে রাজি নয়। তবে পরে বিসিবি, পিসিবি এবং আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই মতপার্থক্যের অবসান হয়।
পাকিস্তান সফরে যাবেন না মুশফিকুর রহিম
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতা, এমপি, মন্ত্রীরা গত তিন সপ্তাহ ধরে সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক ক্ষেত্রেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত দুজন নেতা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছেন। দেশের শীর্ষ আদালত এবং তার শীর্ষ বিচারকের সাথে সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলের এমন আচরণের নজির বাংলাদেশে বিরল। কি চাইছে আওয়ামী লীগ? আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ইউসুফ হোসাইন বিবিসিকে বলেছেন, তারা এই রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ বাতিল দাবি করছেন। "এক নাম্বার - কোন একক ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি, যেটাকে আমরা মনে করছি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইঙ্গিত করা হচ্ছে। এটা কোন অবস্থাতেই আমরা মেনে নিতে পারি না, দুই নম্বর, সংসদকে অকার্যকর, অথর্ব ইত্যাদি ভাষায় যেটা বলা হয়েছে, এটা অপ্রাসঙ্গিক।" বিরোধী বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ প্রধান বিচারপতিকে সরাতে চাইছে। আওয়ামী লীগ এমন দাবি না তুললেও তাদের একজন প্রভাবশালী এমপি ফজলে নুর তাপস গতকাল (মঙ্গলবার) এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতারা রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান বিচারপতির প্রতি তিনি যে প্রচণ্ড নাখোশ হয়েছেন তা চেপে রাখেননি। শীর্ষ আদালত এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উপর কি প্রভাব ফেলতে পারে? রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলছেন, এতে অনেকগুলো খারাপ নজির স্থাপিত হচ্ছে। "আওয়ামীলীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তারা রিভিউ পিটিশন করার চিন্তা করছে। সেই অবস্থায় আপনি যখন চিফ জাস্টিসের বাসায় গিয়ে দেখা করেন, আপনি মামলার একটি সংক্ষুব্ধ পক্ষ হয়ে, তার মানে তো আপনি মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন"। "দ্বিতীয়ত হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে চিফ জাস্টিস সম্পর্কে যে সমস্ত অশালীন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে জুডিশিয়ারি যদি এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যায় তাহলে এই সরকারের বহু মন্ত্রীরই আর স্বপদে থাকার অধিকার থাকে না। আর যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মনে হবে আদালত অবমাননা আইন, আইনের শাসন সমাজের অন্য মানুষদের জন্য। সরকারে যারা থাকে, যারা প্রভাবশালী তাদের জন্য নয়"। তবে ব্যাপারটাকে ঠিক এভাবে দেখছেন না হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক। তার ভাষায় - অনেকে আবেগ-তাড়িত হয়ে অনুচিত কথা বলছেন ঠিকই কিন্তু পুরো বিতর্কটি গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। "গণতন্ত্র মানে হচ্ছে তো আইনের শাসন। যখন আমরা রায় নিয়ে সমালোচনা করছি, তখন কিন্তু আমরা আইনটিকেই আমাদের আলোচনায় রাখছি ... আইন, রায় এটাকে আমরা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি, এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য একটা ভাল দিক।"
আওয়ামী লীগের কাঠগড়ায় প্রধান বিচারপতি, পরিণতি কি?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইট জাস্ট ব্র্যান্ডের চিকেন নাগেট। এই সিদ্ধান্তের পর স্যান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক কোম্পানি 'ইট জাস্ট' সিঙ্গাপুরের বাজারে গবেষণাগারে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করতে পারবে। গবেষণাগারে তৈরি মাংস বাজারজাত করার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। প্রথম পর্যায়ে চিকেন নাগেট হিসেবে এই মাংস বিক্রি হবে। তবে কবে থেকে বিক্রি শুরু হবে সে সম্পর্কে কোম্পানিটি কোন তথ্য দেয়নি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পশু কল্যাণ এবং পরিবেশ দুষণ নিয়ে সারা বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে 'নিরাপদ মাংস'র চাহিদাও। আরো পড়তে পারেন: কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে 'রক্ত' ঝরে ‘বাতাস দিয়ে খাদ্য’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা আপনি কি রোবটের বানানো মাংস খাবেন? ব্রিটিশ ব্যাংক বার্কলেস'র হিসেব অনুযায়ী, আগামী এক দশকের মধ্যে বিকল্প মাংসের বাজার মূল্য দাঁড়াবে ১৪,০০০ কোটি ডলারে। এটি বিশ্বের মোট মাংস শিল্পের ১০%। উদ্ভিদ থেকে তৈরি বিকল্প মাংস উন্নত দেশগুলোর সুপারমার্কেট এবং রেস্টুরেন্টের মেনুতে এখনই পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইট জাস্ট-এর তৈরি পণ্য উদ্ভিদ-জাত নয়। প্রাণীর পেশী কোষ থেকে গবেষণাগারে এই মাংস তৈরি করা হয়। খাদ্যশিল্পে বড় অগ্রগতি সিঙ্গাপুর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইট জাস্ট "বিশ্ব খাদ্য শিল্পে একটি বড় অগ্রগতি" হিসেবে বর্ণনা করেছে। অন্যান্য দেশও সিঙ্গাপুরের পথ অনুসরণ করবে বলে কোম্পানিটি আশা করছে। গত এক দশকে ডজন খানেক কোম্পানি চালু হয়েছে যারা কৃত্রিম মাংস বাজারজাতের চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি কোম্পানি হচ্ছে ইসরায়েল-ভিত্তিক 'ফিউচার মিট টেকনোলজিস' এবং বিল গেটস-এর অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি 'মেমফিস মিট'। দুটি কোম্পানিই চেষ্টা করছে বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের সুস্বাদু কৃত্রিম মাংস সরবরাহ করতে। সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি 'শিয়ক মিটস' কাঁকড়া এবং চিংড়ির মাংস গবেষণাগারে তৈরির চেষ্টা করছে। নিরাপদ 'নতুন খাদ্য' সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি বলছে, ইট জাস্ট যেভাবে এই কৃত্রিম মুরগীর মাংস তৈরি করেছে একদল বিশেষজ্ঞ তা যাচাই করে দেখেছে। "এটা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে জন্যেই সিঙ্গাপুরে একে চিকেন নাগেট হিসেবে বিক্রি করতে ইট জাস্টকে অনুমতি দেয়া হয়েছে," এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে। এই মুরগীর মাংসে কোর ধরনের অ্যান্টিবাইওটিকের উপস্থিতি নেই এবং সাধারণ মুরগীর চেয়ে এই মাংসে জীবাণুর উপস্থিতিও কম বলে ইট জাস্ট দাবি করছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত নেই বলে জাতিসংঘের বিবৃতি বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষায় খসড়া আইনে যা বলা হয়েছে ভারতে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে বিতর্কে জাস্টিন ট্রুডো
সিঙ্গাপুরে চালু হচ্ছে ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগীর মাংস
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ফ্রান্সে একসময় নামের নির্ধারিত তালিকা ছিলো। ফ্রান্সের টুলুজ শহরের প্রধান সরকারি কৌসুলিকে এখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, শহরের এক দম্পতি তাদের নবজাতকের নাম "জিহাদ" রাখার পর আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরকারি কৌসুলির তদন্ত রিপোর্টের পর, টুলুজের একজন বিচারককে এ ব্যাপারে রায় দিতে হতে পারে। "জিহাদ" আরবি শব্দ, যার অর্থ চেষ্টা বা সংগ্রাম। অনেকে অবশ্য শব্দটির সাথে "ধর্মযুদ্ধ"কে গুলিয়ে ফেলেন। বাবা-মা বাচ্চার নাম কী রাখেন সে ব্যাপারে ফরাসী আইনে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সেই নাম যদি বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হয়, বা পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি মনে করেন যে ঐ নামে পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাহলে আদালত চাইলে নাক গলাতেও পারে। টুলুজে যে বাচ্চাটির "জিহাদ" নামকরণ নিয়ে হৈচৈ হচ্ছে, তার জন্ম হয় অগাস্ট মাসে । কিন্তু তার আগেও ফ্রান্সে অনেক ছেলে শিশুর নাম জিহাদ রাখা হয়েছে, এবং তা বদলের জন্য কোনো চাপ কেউ দেয়নি। ইদানীং সাধারণভাবে কট্টর ইসলামপন্থীদের জিহাদি বলা হয় । ২০১৫ সালের শুরু থেকে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলায় ফ্রান্সে ২৩০ জন নিহত হয়েছে। তখন থেকেই সেদেশে জরুরী অবস্থা বলবত রয়েছে। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের নিস শহরে এক মহিলাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছিলো, কারণ জিহাদ নামে তার তিন বছরের শিশুটি যে জামা পরে স্কুলে গিয়েছিল তাতে লেখা ছিলো - "জিহাদ, জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর। আমি একটি বোমা।" নামের জন্য নয়, মায়ের শাস্তি হয়েছিলো ঐ লেখার মাধ্যমে উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে ফ্রান্সে একটি মেয়ে শিশুর নাম "নাটেলা" রাখার পর একটি আদালত তাতে বাদ সাধে। বিচারকের যুক্তি ছিলো এই নামের কারণে এই শিশুটি পরে হেনস্থার শিকার হতে পারে। এমনকি বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন যে নাটেলার বদলে শিশুটির নাম রাখা হোক এলা। টুলুজ শহরের জিহাদ নামের বাচ্চার নাম নিয়ে আদালত কি বলে, অনেকেই তা নিয়ে উৎসুক। আরো পড়ুন: ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ কেটামিন মাদক হিসেবে বাংলাদেশে থেকে পাচার প্রথা ভেঙ্গে চীনের শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা
বাচ্চার নাম 'জিহাদ' রাখা নিয়ে ফ্রান্সে দ্বিধা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, এখনো তারা মিসেস জিয়ার পুরোনো চিকিৎসাপত্রই বহাল রেখেছেন। বিএনপি দাবি করে আসছিল যে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু দলটির নেতারা এখন বলেছেন, তাদের নেত্রীর চিকিৎসা 'জরুরি হয়ে পড়েছে', এবং সেকারণেই তারা এ মুহুর্তে বঙ্গবন্ধৃ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসায় রাজী হয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক এম এ জলিল চৌধুরী বলেছেন, পুরোনো আর্থ্রাইটিস রোগের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়া বেশি অসুস্থবোধ করছেন। "উনিতো অনেক দিন থেকে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ভুগতেছে । ইদানিং ব্যথাটা বেড়েছে। এর ফলে উনি বাম হাতে মোটেই কাজ করতে পারেন না, কোনো কিছু ধরতে পারেন না। এটা আর্থ্রাইটিস বেশি পুরোনো হলে, তখন হয়।" ডা. চৌধুরী বলেন, "উনি হাঁটতে গেলে হাত-পা কাঁপে। তারপর উনি নিজে নিজে বসতে পারেন না। কষ্ট করে বসলেও সাপোর্ট দিয়ে তারপর ওঠাতে হয়। আর দুইটা হাঁটুতো আগেই বদলানো আছে। উনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় হাঁটুতে মেটাল লাগিয়েছিলেন। প্যারালাইসিস হবে না। কিন্তু হাত যদি ব্যবহার করতে না পারে। এটাতো তার জন্য গুরুতর।" বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের নেত্রীর চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়েই তারা এ মুহুর্তে এই ব্যবস্থায় রাজী হয়েছেন। শনিবার খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। এরই মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য পরিবর্তন করা হয়েছে। ডা: সজল কুমার ব্যানার্জির পরিবর্তে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তানজিনা পারভিনকে নেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলায়আরও খবর: কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতোলে যেতে চেয়েছিলেন এই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আজ তাদের প্রথম বৈঠকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং পুরোনো চিকিৎসাপত্র নিয়ে পর্যালোচনা করেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার একতরফাভাবে তাদের চিকিৎসকদের দিয়ে এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। "হাইকোর্টে রিটের কারণে যে আদেশ দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, এবং তাঁর পছন্দমতো ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। সে অনুযায়ী হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে, মেডিকেল বোর্ডের পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই থাকবে তাঁর পছন্দের ডাক্তার, সরকারের ডাক্তার থাকবে দুইজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, বোর্ডে তাঁর পছন্দের কোনো ডাক্তারকে নেয়া হয়নি" - বলেন মি. আলমগীর। এ ছাড়া ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালকের সাথে দেখা করে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তবে এসব অভিযোগ মানতে রাজী নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বোর্ডের অধ্যাপক এম এ জলিল চৌধুরী বলেছেন, তাদের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক সহায়তা নিচ্ছে। "এখন আমাদের পর্যবেক্ষণ চলছে। উনি যে আমাদের চিকিৎসা নেবেন, উনারতো একটা মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। আমরা এখন তাঁকে প্রস্তুত করছি।" তিনি আরও বলেছেন, "হাইকোর্ট যেটা বলেছেন, ম্যাডামের চাহিদা অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড যদি অনুমতি দেয়, তবে পছন্দের চিকিৎসক আনা যাবে। সেটা যদি পরে উনি চান, আর আমরা যদি মনে করি উনার পছন্দের ডাক্তার আসলে উপকার হবে, সেটা অনুমতি দেবো আমরা। তাতে অসুবিধা নাই। এছাড়া উনার ব্যক্তিগত একজন চিকিৎসক মামুন আমাদের সাথে থাকুক, সেটা উনি চান। ফলে ডা: মামুন আজ আমাদের সাথে ছিল।" গত মে মাসেও খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিতে চেয়েছিল। তিনি সেখানে চিকিৎসার জন্য রাজী না হওয়ায় সে সময় তাঁকে আর ঐ হাসপাতালে নেয়া হয়নি। কিন্তু এবার তিনি সেই হাসপাতালেই এলেন। জিয়া এতিমখানা মামলায় দন্ডিত মিসেস জিয়া ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর চিকিৎসার বিষয় নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টেও গিয়েছিল। দু'দিন আগে চৌঠা অক্টোবর বাংলাদেশের হাইকোর্ট এক রায়ে খালেদা জিয়ার পছন্দমত তিন জন টিকিৎসক সহ পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশ দেন। বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এনে যুক্ত করা যাবে বলে আদালত মতামত দেয়। এর পর শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে পুলিশের একটি গাড়িতে করে বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয়। বিবিসি বাংলার আরো খবর: দূতাবাসের ভেতরে সৌদি যুবরাজের সমালোচককে খুন? সেন্ট মার্টিন দ্বীপ যেভাবে বাংলাদেশের অংশ হলো হনুমানকে বাস 'চালাতে' দিয়ে চালক সাসপেন্ড আমি কেন যৌনপল্লীতে যেতে শুরু করলাম
যে কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়ে পিছু হটলো বিএনপি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মোজাম্বিকে ১ লাখেরও বেশি পুরুষেক খতনা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে গত বছর এই কর্মসূচির আওতায় জামবেজিয়াতে ৮৪০০০ পুরুষের খতনা করা হয়েছিল। এবার এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। প্রদেশের গভর্নর আব্দুল রাজ্জাক, যিনি নিজে পেশায় একজন ডাক্তার, এই খতনা কর্মসূচিকে সমর্থন করছেন। "পুরুষের খতনা এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে সাহায্য করে, যদিও এতে রোগ সারায় না।" কাউকেই খতনা করতে জোর করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্মীরা শুধু বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে এতে এইডস প্রতিরোধে সাহায্য হতে পারে। দুই ধাপে খতনা প্রকল্পে খরচ হবে ৭২৮,০০০ মার্কিন ডলার। এইডস প্রতিরোধে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি চ্যারিটি থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। মোজাম্বিকের অন্যান্য প্রদেশে খতনার প্রচলন থাকলেও জাম্বেজিয়া ব্যতিক্রম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষদের খতনা এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি ৬০% কমাতে পারে। আরও পড়ুন: ভারতের বদলে চীনকে কেন চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্তানি বাস ড্রাইভারের ছেলে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা মিশনের নেতৃত্বে কেন পিছিয়ে বাংলাদেশ?
এইডস রোগ ঠেকাতে মোজাম্বিকে এক লাখ পুরুষের খতনা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক। রাস্তা জুড়ে আগের মতোই যানবাহনগুলোর এলোমেলো চলাফেরা, বাস ও গাড়িগুলোর অযথা হর্ন বাজানো তারমধ্যে পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হওয়া তো আছেই। অন্যান্য দেশে ট্রাফিক নিয়ম কানুনের বিষয়টি তাদের স্কুল পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাংলাদেশের স্কুলের বইগুলোতে সেটা কতোটা আছে? জানতে গিয়েছিলাম ঢাকার আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল ও কলেজে। বাংলামাধ্যম এই স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কে নিরাপদ চলাচলের বিষয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে একটি বিশেষ অধ্যায় এবং চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ে একটি ছড়া রয়েছে। এছাড়া অন্য ক্লাসগুলোর পাঠ্য বইয়ে এ সংক্রান্ত আর কোন বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মানতে হবে সে বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলের শিক্ষিকা আফরোজা আক্তার। তবে ট্রাফিক আইন মানতে শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সচেতন করে তোলার ক্ষেত্রে এই শিক্ষা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি। "এতো ছোট বয়সে বাচ্চাদের এ বিষয়ে শেখানো হচ্ছে যে, সেই বিষয়গুলো বুঝে সেটা বাস্তবে প্রয়োগ করার মতো ম্যাচ্যুরিটি তাদের আসেনি। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ক্লাস টেন পর্যন্ত এই বিষয়গুলো বইয়ে থাকা উচিত। আর শিক্ষকদেরও উচিত সচেতনতার সাথে সেগুলো পড়ানো।" এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ: রেজাউজ্জামান ভুইঁয়া জানান, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান সবার কাছে পৌঁছাতে ক্ষেত্রে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক-সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনগুলো সংযোজন করা জরুরি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিআরটিএ চিত্র: আন্দোলনের পর বিবিসির চোখে কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? নিরাপদ সড়ক: ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোন পরিবর্তন এসেছে? বাংলাদেশের বোর্ডের বইগুলোতে ট্রাফিক সংক্রান্ত পাঠ অনেক সীমিত। তবে, এর চেয়ে কঠোর আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ আরও বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি। মিস্টার ভুইঁয়া বলেন। "ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মূল্যবোধ শানিত করতে হয়। তাই ছোট থাকতেই যদি তাদের ট্রাফিকে এই নিয়ম কানুন সর্ম্পকে জানানো হয়, তাহলে সচেতনতা তার মগজে ঢুকে যাবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ করাটা এক্ষেত্রে আরও বেশি কাজে দেবে। যারা শহরের মধ্যে ইচ্ছামত গাড়ি চালাচ্ছে, রাস্তা পার হচ্ছে তারাই কিন্তু ক্যাটনমেন্ট এলাকায় আইন মেনে চলে। কারণ সেখানে নিয়ম ভাঙলে শাস্তি পেতে হয়।" কথা হয় গৃহিনী আঞ্জুমান আরার সঙ্গে। পেশায় গৃহিনী এই নারী ট্রাফিকের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে তার স্কুল জীবনে বইয়ে কিছু পড়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান। তিনি বলেন, "অনেক আগের কথা মনে নাই। হয়তো ছিল, খেয়াল নাই। তবে আমি মনে করি এই বিষয়গুলো বইয়ে আরও বেশি করে রাখা উচিত ছিল। তাহলে হয়তো ভুলে যেতাম না।" ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলার বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি নিজেই দেখিয়ে দেন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার কথা বলা থাকলেও শহরের বেশিরভাগ জেব্রা ক্রসিং চলে যায় যানবাহনের চাকার নীচে। এক্ষেত্রে তিনি নিজের মনে করেন মানুষকে সচেতন করে তুলতে ট্রাফিক নিয়ম মানার আগে নিয়ম জানাটা জরুরি। এদিকে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিকের নিয়ম সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে ট্রাফিক নিয়মের পাঠ কতটা আছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ধসে পড়া ভবনের ভেতর উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কর্মীরা। ভেঙে পড়া ভবনের নীচে বা ধ্বংসস্তুপের ভেতর কোনো মানুষ চাপা পড়ে আছে কিনা সেটিই এখন সবার আগে খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দলগুলো। এ বছর পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে ভয়াবহতম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরান-ইরাক সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পটিকে। গতকাল সোমবারের এই ভূমিকম্পে যত মানুষ নিহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ইরানের সীমান্ত থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলের শহর সারপোল-এ-জাহাব এবং কেরমানশাহ প্রদেশের বাসিন্দা। সারপোল-এ-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা দিতে এটি হিমশিম খাচ্ছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ভূমিধ্বস হওয়ায় উদ্ধার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে এবং গ্রামীন এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ভূমিকম্পে একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি হয়তো যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং বাঁধের আশপাশে বসবাসরত মানুষদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । নানান জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর প্রচুর ভবন ভেঙে পড়ায় শহরের অসংখ্য মানুষ ঠান্ডার মধ্যে পার্কে ও রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। একটি ত্রাণ সংস্থা জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ৭০ হাজার মানুষ এখন আশ্রয়প্রার্থী। ইরানের সরকারি হিসেব জানাচ্ছে, এই ঘটনায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সেই তালিকায় এমনকি কিছু সৈন্য এবং কিছু সীমান্তরক্ষীও রয়েছে বলে জানিয়েছে, দেশটির আর্মি কমান্ডার-ইন-চিফ। এই ভূমিকম্পে ইরাকে ৯জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্টের এক মুখপাত্র। বিবিসি বাংলার আরো খবর: রোহিঙ্গা নির্যাতন: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাফাই হায়দ্রাবাদে ভিক্ষুক ধরিয়ে দিলে ৫০০ রুপি পুরস্কার সেক্সের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদেরই বেশি যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে
ইরান-ইরাক সীমান্তের ভূমিকম্পটি চলতি বছরের ভয়াবহতম
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
উদ্ধার হওয়া কিশোর তরুণ মি. আদিলাং। মাছ ধরার জন্যে তৈরি একটি ভেলায় দিনের পর দিন ভেসেছিলেন ১৮ বছর বয়সী আলদি নোভেল আদিলাং। সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে তিনি চলে গিয়েছিলেন বহু দূর। উদ্ধার হওয়ার কয়েকদিন পর বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে তিনি বলেছেন, এর আগেও তিনি একবার কিম্বা দু'বার নয়, তিন তিনবার এরকম মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এবার তিনি আর সমুদ্রে যাবেন না বলে ওয়াদা করেছেন। অলৌকিকভাবে তার বেঁচে যাওয়ার সর্বশেষ এই গল্প সবচেয়ে দীর্ঘতম। আগের দু'বার এতো দীর্ঘ সময় ধরে তাকে সাগরে ভেসে থাকতে হয়নি। আর একরাণেই এই ঘটনা সারা বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। মাছ ধরার জন্যে তৈরি কাঠের একটি ভেলায় ভেসে বেড়িয়েছেন তিনি। ভেলায় ভেসে ভেসে সমুদ্র থেকে মাছ ধরার এই পদ্ধতিকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় রমপং। ভেলার উপরে থাকে একটি কুড়ে ঘর। সাগরের মাঝখানে ভেসে বেড়ায় ভেলাটি। এবং দড়ি দিয়ে এটি নোঙর করা থাকে সমুদ্রের তলদেশে। গত জুলাই মাসের ১৪ তারিখে তিনি নোঙর করেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ থেকে ৭৭ মাইল দূরে। কিন্তু যে দড়িটি তার ভেলাকে সমুদ্রের তলদেশের সাথে আটকে রেখেছিল ঝড়ের কবলে পড়ে সেটি হঠাৎ করেই ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর সে ভেসে চলে যায় সমুদ্রের আরো গভীরে। এই ভেলাতে ভেসেছিলেন মি. আদিলাং। এর নাম রমপং। এটি দিয়ে মাছ ধরা হয়। আরো পড়তে পারেন: 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর লোক, আমার বাবা এমপি' কমলা কাটলে বেগুনি হওয়ার রহস্য উদঘাটন বাজার থেকে কেন এনার্জি ড্রিংকস তুলে নেবে কর্তৃপক্ষ? "আমার এক বন্ধুর রমপং-এর দড়ির সাথে প্যাঁচ লেগে আমার ভেলাটির দড়ি হঠাৎ করে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো সে তখন ঘুমিয়ে ছিল। ফলে আমি যে ভেসে দূরে চলে গেছি সেটা সে তখন বুঝতে পারেনি," বলেন মি. আদিলাং। উদ্ধার হওয়ার পর তিনি এখন আছেন উত্তর সুলাওয়েসি দ্বীপের মানাদো শহরে নিজেদের বাড়িতে, তার বাবা মায়ের সাথে। তিনি জানান, ভেসে যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন তার সাথে যেসব খাবার দাবার ছিল সেসব খেয়ে তিনি বেঁচেছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই তার সাথে থাকা সব খাবার শেষ হয়ে যায় বলে তিনি জানান। "আমার সাথে ছিল ভাত, খাবার পানি, মশলা, রান্নার গ্যাস এবং রান্না-বান্নার জন্যে প্রয়োজনীয় আরো কিছু জিনিস। কিন্তু কয়েকদিন পর সবকিছু ফুরিয়ে গেল। বেঁচে থাকার জন্যে তখন আমি মাছ ধরতে শুরু করলাম। যেসব কাঠ দিয়ে রমপং-এর কুড়েঘরটি বানানো হয়েছিল সেগুলো দিয়ে আগুন জ্বালাতাম। ওই আগুনে মাছ পুড়িয়ে খেয়ে বেঁচেছিলাম আমি। কাঁচা মাছও খেয়েছি," বলেন তিনি। কিন্তু তার জন্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খাবার পানি। সেটা তিনি কোথায় পেয়েছেন? এজন্যে তিনি একটি কৌশল বের করে নিয়েছিলেন। তিনি জানান, প্রথমে তিনি তার জামাকাপড় সমুদ্রের পানিতে ভিজিয়ে নিতেন। তারপর ওই কাপড় থেকে পানি বের করে সেই পানি খেতেন তিনি। অর্থাৎ নিজের জামাকাপড়কে তিনি ফিল্টার বানিয়েছিলেন সমুদ্রের পানি থেকে লবন আলাদা করতে। তিনি বলেছেন, এই পদ্ধতিতে তিনি সমুদ্রের পানির লবনাক্ততা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছিলেন। "বাঁচাও, বাঁচাও" সমুদ্রের বুকে তিনি ভেসেছিলেন টানা ৪৯ দিন। তিনি জানান, এই দেড় মাসে তার পাশ দিয়ে গেছে দশটির মতো জাহাজ। কিন্তু তারা কেউই তাকে দেখতে পায়নি। এই কিশোর তরুণ জানান, তিনি যখন একা একা সমুদ্রে ভাসতেন তখন খৃস্টান ধর্মের গান গাইতেন, তার সাথে থাকা বাইবেল থেকে পাঠ করতেন এবং অনবরত প্রার্থনা করতেন। ঈশ্বরের কাছে তিনি চাইতেন তার বাবা মায়ের সাথে যেন আরো একবার দেখা হয়। ভাসতে ভাসতে অনিশ্চয়তায় ডুবে গিয়ে একবার খুব ভেঙে পড়েছিলেন মি.আদিলাং। তিনি ভেবেছিলেন সমুদ্রে ডুবে গিয়ে আত্মহত্যা করার কথাও। তিনি জানান, ৩১শে অগাস্ট তিনি তার ভেলা থেকে একটু দূরে কয়লাবাহী একটি জাহাজ দেখতে পান। "সে সময় আমি বাঁচাও বাঁচাও (হেল্প হেল্প) বলে চিৎকার করেছিলাম। একমাত্র এটাই (ইংরেজি) আমার জানা ছিল," বলেন মি. আদিলাং। তিনি তখন ভাসতে ভাসতে ইন্দোনেশিয়া থেকে বহু দূরে গুয়ামের জলসীমায় চেলে গেছেন। কিন্তু এসম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিল না। মি. আদিলাংকে উদ্ধার করা হয় গুয়ামের জলসীমায়। পানামার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি তখন তাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে খাওয়ার জন্যে কিছু পানি দেওয়া হয় আর কিছু জামা কাপড় দেওয়া হয় পরার জন্যে। ওই জাহাজটি তখন জাপানের দিকে যাচ্ছিল। তীরে গিয়ে পৌঁছাতে আরো এক সপ্তাহ লাগে ওই জাহাজের। মি. আদিলাং জাপানে গিয়ে পৌঁছান ৬ই সেপ্টেম্বর। তারও দুদিন পর বিমানে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দোনেশিয়ায়। সেখানে তার পরিবারের সাথে মিলিত হন তিনি। "আর কখনো যাবো না" মি.আদিলাং জানিয়েছেন এর আগেও তার আরো দু'বার এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু এতো দীর্ঘদিন তাকে সমুদ্রে ভেসে থাকতে হয়নি। "প্রথমবার ছিল এক সপ্তাহের মতো। ভেলার মালিকই সেবার আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। আর দ্বিতীয়বার, আমি সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছিলাম দুদিনের জন্যে। সেবারও ভেলার মালিক আমাকে বাঁচিয়েছিলেন।" তিনি বলেন, রমপঙ-এ আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নেই যা দিয়ে এর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দিক নির্ণয়ের জন্যে তার কাছে কোন কম্পাসও ছিল না। মি. আদিলাং এখন তার বাবা মায়ের সাথে, নিজেদের বাড়িতে। তার কাজ হলো রমপং এর বাতি জ্বালানো। এই আলো দেখেই মাছ আকৃষ্ট হয়। তিনি যে কোম্পানিতে কাজ করেন, প্রত্যেক সপ্তাহে ওই কোম্পানি থেকে লোকজন গিয়ে ভেলায় থেকে মাছ নিয়ে আসেন। একই সময় তাকে দিয়ে আসা হয় খাবার দাবার, পানি এবং বাতি জ্বালানোর মতো তেলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী। কোম্পানিটির সাথে তার এক বছরের চুক্তি হয়েছিল। বেতন ছিল মাসে ১৩৪ ডলার। সবশেষ এই ঘটনার পর মি. আদিলাং বলছেন, তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন যে মাছ ধরার জন্যে তিনি আর কখনো সমুদ্রে যাবেন না।
"সাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে ৪৯ দিন বেঁচেছিলাম"
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা সম্ভব হয় নি এর আগে বলা হচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ঘটনা। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে মহাকাশের এমন একটি অংশ যার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই প্রচন্ড যে তার হাত থেকে কোন কিছুই - এমনকি আলোর রশ্মিও পালাতে পারে না। এর নাম গহ্বর বলা হলেও আসলে এটা ফাঁকা নয়। বরং এর ভেতরে খুব ছোট একটি জায়গায় বিপুল পরিমাণ পদার্থ জমাট বেঁধে আছে। তার ফলেই এর মহাকর্ষ শক্তি এত জোরালো। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বৃত্তাকার কালো আভার চারদিকে এক উজ্জ্বল আগুনের বলয়। এ্যান্টার্কটিকা, স্পেন ও চিলির মতো পৃথিবীর নানা প্রান্তে বসানো আটটি রেডিও টেলিস্কোপের এক নেটওয়ার্ক দিয়ে এই ছবি তোলা সম্ভব হয়। এর আগে কোন ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা যায় নি - কারণ একক কোন টেলিস্কোপের এর ছবি তোলার ক্ষমতা নেই। এমএইটসেভেন নামে একটি বহুদূরবর্তী গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের মধ্যে এটি পাওয়া গেছে। এমএইটসেভেন গ্যালাক্সির একটি ছবি, এসব ছবি থেকেই ধারণা করা হয়েছিল যে এতে একটি ব্ল্যাক হোল আছে। পৃথিবী থেকে এই ব্ল্যাক হোল ৫০ কোটি ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে, এবং এটার ভর (এর মধ্যেকার পদার্থের পরিমাণ) সূর্যের চাইতে ৬৫০ কোটি গুণ বেশি। ব্ল্যাকহোলটি এতই বড় যে এটাকে একটা 'দানব' বলে বর্ণনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর উজ্জ্বলতা ওই ছায়াপথের সব তারা মিলে যত ঔজ্জ্বল্য হবে তার চাইতেও বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দানবাকৃতির এই ব্ল্যাক হোল পৃথিবী যে সৌরজগতের অংশ - তার চাইতেও বড়। এ মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত এর আয়তন ৪ হাজার কোটি কিলোমিটার - যা পৃথিবীর চাইতে ৩০ লক্ষ গুণ বড়। 'এ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স'-এ এই আবিষ্কারের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে মানুষের বোধ বাড়াতে সাহায্য করবে এই ছবি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পৃথিবীর আকাশে নজর এড়িয়ে যাওয়া বিশাল অগ্নিগোলক
প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি তুললেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শোভন-রাব্বানী সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে, নতুন নেতারা ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে অনেক দেরিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোর ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, তাদের দলের সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে এবং সহযোগী সংগঠনগুলোতে জবাবদিহিতার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তবে নানা অভিযোগ নিয়ে পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক অবস্থায় এসেছে, সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ব্যর্থতা আছে কিনা বা এর দায় কার ওপর বর্তায়-এসব প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন যুবলীগের একজন নেতা জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনেরও ঢাকা নগরীর দু'জন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেজন্য অভিযুক্ত দু'জনের বক্তব্য শুনতে তাদের ডেকেছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের অনেক কর্মকাণ্ড বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ বা সরকারকে বিব্রত করেছে। তবে এবার চরম বিপদজনক পরিস্থিতি হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী নিজে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলছেন। দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলছিলেন, চাঁদাবাজিসহ গুরুতর নানা অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে অনেক বিলম্ব করা হলো। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এত সময় লাগলো কেন এই বিষয়টাকে চিহ্নিত করতে এবং এটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে? আমি আশা করবো যে, শুধু প্রধানমন্ত্রী একা নন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা প্রত্যেকে এই কথাটা ভাববেন যে, এপর্যন্ত কত ক্ষতি হয়েছে- সেই ক্ষতির জন্য তারা একটু অনুতপ্ত বোধ করেন কিনা?" রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পিছনে বড় অভিযোগ ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বড় অংকের চাঁদা দাবি করা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট ধর্ষণ: 'নিজে ধর্ষিত হলাম, ভয় পাচ্ছি মেয়েদের নিয়েও' যে দশ লক্ষণ দেখে বুঝবেন একটি দেশ গণতান্ত্রিক নয় অস্থির মধ্যপ্রাচ্যে কি আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধ আসন্ন? শোভন-রাব্বানী বাদ: অন্যদের জন্য কী হুঁশিয়ারি? প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের ঢাকার দু'জন নেতার বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের কথা তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেছেন, এবার এসব অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন এবং তিনি দলীয় ফোরামে ক্ষোভ প্রকাশের পর ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্ন এসেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ই নানা অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা সেভাবে দৃশ্যমান ছিল না বলে তাদের মনে হয়েছে।আর সেকারণে বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় পৌঁছানোর পিছনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলছিলেন, সবকিছু এককেন্দ্রিক হওয়ার কারণে পরিস্থিতি এমন হয়েছে। "এটিতো একদিনে তৈরি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে এমন পদক্ষেপ ১০ বছর আগে থেকে নেয়া হলে হয়তো এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।" বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমাদের সমস্যা হচ্ছে, এখন সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হয়। জবাবদিহির বিষয়টা প্রত্যেক পর্যায়ে থাকতে হবে। সেই পর্যায়গুলো অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই যদি সব দায়িত্ব দেয়া হয়, এত কাজের ভিতর সবতো তাঁর দেখা সম্ভব নয়।" মিস্টার ইসলাম আরও বলেছেন, "এগুলো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ করতে পারতেন।কিন্তু কেউ সেরকম হস্তক্ষেপ করতে সাহস পান না।সবার ধারণা, যদি একারণে বা কোন কারণে প্রধানমন্ত্রী বিরাগভাজন হয়ে যান।এখনতো দেখা যাচ্ছে, কাজটি প্রধানমন্ত্রী করলেন। সেটি অনেক আগে আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও করতে পারতেন।" তবে পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এবং দায়ভারের ইস্যুতে এসব বক্তব্য মানতে রাজি নন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি বলছিলেন, "ছাত্রলীগের অতীতে যে দু'একটা ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ছোটখাটো মারামারি ঘটনা। সেগুলোকে শক্তভাবেই শাসন করা হতো। কিন্তু এই শিষ্টাচার বহির্ভূত এধরণের অভিযোগ আগে কখনও আসেনি। এবং নানান শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।" তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ অভিভাবক হিসাবে কখনই ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কোন ধরণের অন্যায়ে সমর্থন করেনি।তারা শাসন করেছে। শাসনের মাত্রাটা হয়তো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।আমরা কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।" আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, এখন কঠোর যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে সাময়িকভাবে সমালোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ ইতিবাচক হিসেবে নেবে।
চাঁদাবাজি-দুর্নীতি: দায় কি শুধু ছাত্রলীগ-যুবলীগের?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সাইফুল ইসলাম ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাইফুল ইসলাম ব্রিটেনে এসেছিলেন এক রেস্তোরাঁয় কাজ করতে। তিনি থাকেন কার্ডিফে, বয়স ৪৪। কিন্তু সরকারি দফতরে থাকা তার কাগজপত্র কোনোভাবে মিশে গিয়েছিল অন্য তিনজন লোকের সাথে - আর তার ফলে কোন দোষ না করেও মি. ইসলাম ফেঁসে যান এক অপরাধের দায়ে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা 'হোম অফিস' ইতিমধ্যেই এ ভুলের জন্য মি. ইসলামের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এর পরও তাকে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে থাকার অধিকার দেয়া হচ্ছে না। ১৬ বছর ধরে আইনি লড়াই সাইফুল ইসলাম যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য ১৬ বছর ধরে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। তার এ সমস্যার শুরু ২০০৫ সালে। তিনি তার তখনকার কর্মস্থল ছিল যে রেস্তোরাঁ - তার পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর পরই পুলিশ এবং হোম অফিস ব্যাপারটি নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে বছরই তার পারমিটের মেয়াদ কমিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তাকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। ব্রিটেনে 'কারি হাউস'গুলোতে অনেক বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত শেফ কাজ করেন অভিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী ফিজা কুরেশি বলেন, "সাইফুল যদি ১৬ বছর ধরে মামলা লড়ে না যেতেন তাহলে তার জানাই হতো না যে হোম অফিস তার কাগজপত্র গুলিয়ে ফেলেছে এবং তাকে ভুলভাবে একজন অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।" "এর পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ সাইফুল যেভাবে তার নিয়োগদাতার শোষণ সম্পর্কে খবর দিয়েছে তার প্রশংসা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তা না করে উল্টো তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাকে বহিষ্কার করতে চাইছে - যদিও সে সাহসী ও নির্দোষ।" এরই এক পর্যায়ে তিনি তথ্য কমিশনারের মাধ্যমে তার ফাইল দেখার সুযোগ পান এবং তাতে ভুল ধরা পড়ে। ২০১৯ সালে তার কাছে এ জন্য পূর্ণভাবে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। তিনি বলছেন, হোম অফিস আমাকে মানুষ বলে মনে করেনি। তারা এমন আচরণ করেছে যেন আমি একজন অপরাধী। "আমি এ জন্য অনেকগুলো বছর হারিয়েছি, আমার স্বাস্থ্য ও অর্থ হারিয়েছি। সাইফুল ইসলাম বলেন, এ জন্য তিনি মানসিক বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়েছেন। কী বলছেন বিচারক এ সংক্রান্ত এক বিচারবিভাগীয় পুনর্বিবেচনার রায়ে বলা হয়, ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য মি. ইসলামের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে ভিত্তি ছিল ২০০৮ সালের একটি প্রত্যাখ্যাত আবেদন। কারণ সে সময় তার কোন ওয়ার্ক পারমিট ছিল না। হোম অফিসের ভুল এর ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশে এতো বেশি কুয়াশার কারণ কী? পাকিস্তান টেস্টে বাধা কি নিরাপত্তা নাকি রাজনীতি? যে কারণে ইরান-আমেরিকা সংকটের সমাধান নেই পূর্ব লন্ডনের একটি 'কারি হাউস' কিন্তু মি. ইসলাম বলছেন, ২০০৮ সালে তার কোন ওয়ার্ক পারমিট না থাকার কয়েকটি কারণ ছিল। একটি হচ্ছে তাকে ভুলভাবে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা। তা ছাড়া তার ফাইলের কিছু অংশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এবং অন্য একটি মামলায় তা আদালতে উত্থাপন করা হয়নি। তিনি যে আইনসঙ্গতভাবে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছিলেন - তার প্রমাণ হিসেবে তার পাসপোর্টের প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠাগুলোও আদালতকে দেয়া হয়নি। বিচারপতি জ্যাকসন রুলিং দেন যে - মি. ইসলামের আবেদনের ক্ষেত্রে অতীতে বেশ কিছু ভুল ও অবিচার করা হয়েছে, কিন্তু 'এগুলোই তার বর্তমান অবস্থার কারণ' বলে মি. ইসলাম যে দাবি করছেন তা দলিলপত্রে প্রমাণ হয় না। রুলিংএ আরো বলা হয়, 'এমন কোন নিশ্চয়তাও নেই যে তাকে কোন একটি বিশেষ পদে নিযুক্ত রাখা এখনো প্রয়োজনীয়।' মি. ইসলাম বলছেন, তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮টি মামলা এবং হোম অফিসের সাথে বিপুল পরিমাণ চিঠিপত্র বিনিময় হয়েছে। হোম অফিস বলছে, তারা কোন চলমান আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করবে না তবে তারা এটা নিশ্চিত করেছে যে মি. ইসলামের বিবরণের সাথে অন্য তিনজন লোকের বিবরণ 'ভুলক্রমে' যুক্ত হয়ে গেছে। হোম অফিস আরো বলেছে যে ব্রিটেনে বসবাসের প্রতিটি আবেদনই স্বতন্ত্রভাবে অভিবাসন আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হয়, এবং কারো এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না থাকলে এটাই আশা করা হয় তিনি স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। তারা তা না করলে তাদের এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হবে। আরো পড়তে পারেন: বাবুর্চির অভাবে সঙ্কটে বৃটেনের জনপ্রিয় কারি শিল্প কীভাবে বাংলাদেশি খাবার জনপ্রিয় করেছিলেন নুর জামান খান বিলেতে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের হারানো যুগ
ব্রিটেন থেকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ১৬ বছর ধরে লড়ছেন যে বাংলাদেশি শেফ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভারতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে থাকে ভারতের আদালত। যদিও ২০১৫ সালের পর এখনো পর্যন্ত দেশটিতে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে ভারতের তুলনায় অন্য দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার হার আরো অনেক বেশি। যার মধ্যে ২০১৮ সালের মোট মৃত্যুদণ্ডের বেশিরভাগ দিয়েছে চারটি দেশ। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার কমছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, গত এক দশকের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে কম মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয়েছে। কোন ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেয় ভারত? বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ডই দেয়া হয়েছে হত্যার , হত্যা এবং যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে। ২০১৮ সালে হত্যার জন্য ৪৫টি এবং হত্যা ও যৌন সহিংসতার জন্য ৫৮টি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ভারতে, মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভারতীয় পেনাল কোডের (১৮৬০) বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করে দেয়া যায়। এছাড়া আরো ২৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে যেখানেও মৃত্যুদণ্ডের সাজা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দিল্লির ন্যাশনাল ল' ইউনিভার্সিটির হিসাবে, ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয়েছে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যটিতে ৩৫৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হরিয়ানা যেখানে ৯০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশেও ৭৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তথ্য বলছে, শুধু ২০১৮ সালেই ১৬২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত যা গত বছরের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি এবং গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। যেসব কারণে ২০১৮ সালে ভারতে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তার মধ্যে যৌন সহিংসতার পর হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেয়ার হার ৩৫ ভাগ বেড়েছে। আর এটা হয়েছে সম্প্রতি এ সম্পর্কিত আইনে সংশোধন আনার পর। আরো পড়তে পারেন: কয়েদিদের ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান যে সন্ন্যাসিনী ইনজেকশন বিতর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানে শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী বিপরীতে, গত বছর পাকিস্তানে ২৫০টি মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশে ২২৯টিরও বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়ার হার ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কিছুটা কমেছে। ওই বছর ২,৫৯১ জনের তুলনায় ২০১৮ সালে ২,৫৩১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয় কারা? অ্যামনেস্টি ইন্টার‍ন্যাশনাল, যারা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়, তারা বলছে, গত বছর ৬৯০জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয়েছে যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৩০% কম। ২০১৮ সালে, বিশ্বের মোট মৃত্যুদণ্ডের ৮০ ভাগই কার্যকর করা মাত্র চারটি দেশে। এগুলো হলে- •ইরান •সৌদি আরব •ভিয়েতনাম •ইরাক বিরল এক সরকারি ঘোষণায়, গত নভেম্বরে ভিয়েতনাম নিশ্চিত করে যে, গত বছর দেশটি ৮৫টি মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করেছে। এর আগের বছর ভিয়েতনাম মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা জানায়নি। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার ৪৬ ভাগ বেড়েছে। অবশ্য ভিয়েতনামের পরিসংখ্যান এর পেছনে দায়ী। এছাড়া জাপান ১৫ জন, পাকিস্তান ১৪ জন এবং সিঙ্গাপুর ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করেছে থাইল্যান্ড। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর যুক্তরাষ্ট্রে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরের ঘটনা বেড়েছে। ২০১৭ সালে ২৩ জনের তুলনায় ২০১৮ সালে ২৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে নানা কারণে এই সংখ্যার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে: •এখানে চীনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অ্যামনেস্টির মতে দেশটিতে হাজারো মানুষকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েছে, কিন্তু পরিসংখ্যান গোপন রাখা হয়েছে। •সিরিয়ায় যুদ্ধ চলার কারণে এটা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে সেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে কিনা। •লাওস ও উত্তর কোরিয়া থেকে এ ধরণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অ্যামনেস্টি বলছে, এ কারণেই তাদের দেয়া পরিসংখ্যানের হিসাবটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রকৃত সংখ্যার তুলনায় কম চিত্র ফুটে উঠতে পারে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে যাচ্ছে কোন দেশে? এখানে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে কারণ সব দেশ থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি মানুষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ৪,৮৬৪। এ বছর পাকিস্তানের একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় যে, গড়ে একজন কারাবন্দী আপিল আবেদন সুপ্রিম কোর্টে ওঠার আগে ১০ বছর ধরে মৃত্যুদণ্ডের সাজার মুখে থাকে। অ্যামনেস্টির হিসাবে, বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের সাজার তালিকায় রয়েছে ১৫০০ মানুষ। ন্যাশনাল ল' ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, গত বছরের শেষ নাগাদ ভারতে মৃত্যুদণ্ডের সাজার অপেক্ষায় রয়েছে ৪২৬ জন। এদের মধ্যে অর্ধেককেই হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি ২১.৮% দেয়া হয়েছে ধর্ষণের পর হত্যার কারণে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হতে সহায়তা করেছিলেন যিনি আওয়ামী লীগের সম্মেলন: নতুন কমিটিতে যারা রয়েছেন বিক্ষুব্ধ ব্রহ্মপুত্র, কিন্তু বরাক কেন শান্ত ২০১৯ সালের ভালো সংবাদ ছিল কোনগুলো বাংলাদেশে গাড়িতে করে কারাবন্দীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও অনেক মানুষ মৃত্যুদণ্ডের সাজার অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২,৬৫৪ জন এবং নাইজেরিয়ায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুদণ্ডের সাজার অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করেছে। অনেকে আইনে বাতিল করেছে আবার অনেকে বাস্তব ক্ষেত্রে বাতিল করেছে। যা গত দশকের তুলনায় ৪৭% বেশি। ২০১৮ সালে বুরকিনা ফাসো মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করে এবং গাম্বিয়া ও মালয়েশিয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দেশটির মোট ২০টি রাষ্ট্র মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করলো।
দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যা: ভারতে কেন এতো বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজা?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নির্বাচনী জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শনিবার বিকেলের ঘটনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চন্দ্রকোণার কাছে। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী বা নিরাপত্তারক্ষীরা - কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। শ্লোগান কানে যেতেই সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নিজেই গাড়ির দরজা খুলে নেমে আসেন রাস্তায়। ততক্ষণে শ্লোগান দেওয়া যুবকরা বেগতিক বুঝে পিছু হঠতে শুরু করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে থাকেন, "কী রে, পালাচ্ছিস কেন? আয়, আয়! পালাচ্ছিস কেন?" কলকাতা শহরে রামনবমীর মিছিল আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন আটকে থাকায় মমতার ক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধর্ম কেন এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ? ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির উত্থান কীভাবে? তাকে আরও বলতে শোনা যায়, "সব হরিদাস কোথাকার! গালাগালি দিচ্ছে!" গোটা দৃশ্যটাই প্রত্যক্ষদর্শীরা মোবাইল ফোনের ভিডিওতে ধারণ করেছেন, আর নিমেষে তা ছড়িয়েও পড়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে। এর কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশ বিজেপি সমর্থক তিনজন যুবককে আটক করে। এরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। তবে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ ছাড়াই রবিবার সকালে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু 'জয় শ্রীরাম' শুনেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গাড়ি থেকে নেমে রাজ্যে বিরোধী দলীয় সমর্থকদের দিকে তেড়ে গেছেন, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। জয় শ্রীরাম শ্লোগান জনপ্রিয় হয় বাবরি মসজিদ - রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় এমনিতেই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানটি বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে আলোচনার কেন্দ্রে। বিজেপি তাদের সভা-সমাবেশে নিয়মিতই এই শ্লোগানটি দিয়ে থাকে - যা জনপ্রিয় হয়েছিল বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গে এই শ্লোগানের মাধ্যমে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করতে চাইছে। শনিবার মেদিনীপুরের ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারাচ্ছেন। জয় শ্রীরাম শুনলেই তার জ্বর আসছে!" "আমাদেরও তো কত লোক গো ব্যাক, মুর্দাবাদ শ্লোগান দেয়। তাতে কি আমরা কিছু মনে করি নাকি?" ওই জেলার বিজেপি নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যও বিবিসিকে বলেন, "জয় শ্রীরাম আমাদের একটা রাজনৈতিক শ্লোগান। আমাদের কর্মীরা তো সেটাই দেবেন - তো এর জন্য তাদের গ্রেফতার করতে হবে নাকি?" পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অন্যদিকে এই ঘটনায় যেহেতু তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম জড়িত, তাই দলের মুখপাত্ররাও কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে মেদিনীপুরের ওই ঘটনা নিয়ে বাদানুবাদ থেমে নেই। অনেকেই বলছেন, 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান শুনতে তার যতই খারাপ লাগুক, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটা সাংবিধানিক পদে আছেন তার গাড়ি থেকে নেমে ওভাবে তাড়া করে যাওয়া মোটেই উচিত হয়নি। এর মাধ্যমে তিনি ভোটের মৌশুমে বিজেপির হাতেই একটা অস্ত্র তুলে দিলেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। তৃণমূলের সমর্থকরা অনেকে আবার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে লিখছেন, "লড়াইটা যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সেখানে দিদিমণি (মমতা ব্যানার্জিকে অনেকে এই নামেও ডাকেন) একেবারে ঠিক কাজ করেছেন।" "পশ্চিমবঙ্গে যে জয় শ্রীরামের কোনও জায়গা নেই, সেটা আরও একবার প্রমাণ হল", তাদের কারও কারও অভিমত। আরো পড়তে পারেন: ছুরি, তলোয়ার থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ফণী: পূর্বাভাস প্রদানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ভূমিকা ছিল কি? মোটর বাইকে দুই নারীর ৬৪ জেলায় দুঃসাহসিক সফর ধ্বংস হওয়ার তিন দশক পর পুননির্মিত মসজিদ
'জয় শ্রীরাম' শুনে গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি। (ফাইল ফটো) আজ সকালে ওই হত্যা মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার সময় যোগেন্দ্র নগর বাজারের কাছে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাক্ষী জালাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় তারা উপর্যুপুরি কুপিয়ে জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয়। সেইসঙ্গে তার পায়ের রগ ও বাম হাতটিও কুপিয়ে জখম করে তারা, জানান গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, পুলিশ জানায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল উদ্দিন মারা যান বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। জালাল উদ্দিন নিজেও একজন হত্যা মামলা আসামী বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। আরও পড়তে পারেন: সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে নিয়ে পুলিশ যা বললো মালিবাগে বিস্ফোরণের 'দায় স্বীকার করলো আইএস' 'পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ': সাময়িক বরখাস্ত দুদক কর্মকর্তা পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। সম্ভাব্য সবদিক বিবেচনা করে হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার কথা জানান তারা। গুরুদাসপুর থানার ওসি মি. মাজহারুল ইসলাম বলেন, "আমরা বর্তমানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সন্দেহের তালিকায় তিন চারজন রয়েছেন। তাদের সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।" তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি, জানান মি. ইসলাম। ২০১৩ সালে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের এক নারীকে নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়, বলছে পুলিশ।
নাটোরে হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষীর এক হাত কেটে নিল দুর্বৃত্তরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সেনাদের টহলের দৃশ্য দেখানো হয় এরিত্রিয়ার আসমারা শহরের বাইরে একাধিক রকেট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে সেখানে সাথে সাথে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। টিগ্রে'র ক্ষমতাসীন দল, যারা ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, তারা হামলার হুমকি দিয়েছে। ঐ দলের বাহিনী এর আগে ইথিওপিয়ার অন্য একটি অঞ্চলে রকেট নিক্ষেপ করেছে। টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) বলেছে যে, তারা শুক্রবার আমহারা অঞ্চলের দু'টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং আরো হামলার হুমকি দিয়েছে। টিপিএলএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে অস্থিরতা গত মাসে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইথিওপিয়া ও এরিত্রিয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। টিগ্রেকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘাত সুদানেও প্রভাব ফেলেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ১৭ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক ইথিওপিয়ার সীমান্ত পার করে সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: আফ্রিকায় অসমাপ্ত এক যুদ্ধের দু দশক আফ্রিকার যে শহরটি ইসলামের 'চতুর্থ পবিত্রতম' শহর বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশের স্বাধীনতা অর্জন আলাদা সংঘাতে আহতদের জন্য রাজধানী আদ্দিস আবাবায় রক্তদান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে এরিত্রিয়ায় কী হচ্ছে? শনিবার রাতে আসমারার নাগরিকরা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনার খবর জানায়। নাম প্রকাশ না করে একজন কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে জানায়, "আমরা যেসব খবর পাচ্ছি, তা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বিমানবন্দরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি রকেটের আঘাত হয়েছে।" এরিত্রিয়ার আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা টেসফা নিউজের ওয়েবসাইট টুইট করেছে যে, টিগ্রে'র টিপিএলএফ নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল থেকে ছোঁড়া রকেট বিমানবন্দরে আঘাত না করে শহরের উপকণ্ঠে আঘাত করেছে। টিপিএলএফ'এর একজন মুখপাত্র এর আগে এরিত্রিয়ার বিপক্ষেও হামলা করার হুমকি দিয়েছে। এরিত্রিয়ার সরকার যদিও চলমান এই সংঘাতে নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, তবে বিবিসি'র আফ্রিকা অঞ্চলের সম্পাদক উইল রস বলছেন সীমান্ত অঞ্চল থেকে পাওয়া খবরে বিপরীতটিকেই সত্য মনে হয়। টিগ্রে'র সেনাদের বিরুদ্ধে একটি সেনাঘাঁটি দখল করে নেয়ার অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় সরকার, তারপর সংঘাত শুরু হয় কী হচ্ছে ঐ অঞ্চলে: বিবিসি সংবাদদাতার বিশ্লেষণ এরিত্রিয়ায় মিসাইল হামলার ঘটনার পর ঐ অঞ্চলের সংঘাত আরো জটিল হয়েছে এবং সমস্যার সমাধানের পথও আরো কঠিন হয়েছে। এই হামলার ফলশ্রুতিতে ঐ পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। তবে ঐ অঞ্চলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমির প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছিলেন যে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে, বিশেষ করে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ ও এরিত্রিয়ার স্বৈরাচারী নেতা ইসাইস আফওয়ের্কি একে অপরের মিত্র হওয়ার পর থেকে। এখন দুই নেতারই একই শত্রু - টিপিএলএফ'এর টিগ্রেয়ান রাজনীতিবিদরা, যারা ইথিওপিয়া ও এরিত্রিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছেন। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষিত হয়ে এসেছে এখন পর্যন্ত। যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার বেসামরিক শরণার্থী সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৯১ সালে মেঙ্গিসতু হাইল মারিয়ামের উৎখাতে বড় ভূমিকা ছিল টিপিএলএফ'এর, ১৯৭৫ সালের ছবিতে ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে মেংগিসতু হাইল মারিয়াম (ডানে) সাম্প্রতিক সহিংসতা কতটা শঙ্কার? সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে শত শত মানুষ মারা গেছে। এই সপ্তাহে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে সোমবার মে কাদেরা শহরের 'শত শত মানুষকে ছুরিকাঘাতে বা কুপিয়ে হত্যা' করার ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছে তারা। সংস্থাটি বলছে, তারা 'শহরের বিভিন্ন এলাকায় মরদেহ পড়ে থাকার এবং স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়ার লোমহর্ষক ছবি ও ভিডিও যাচাই' করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ টিগ্রে'র নেতাদের সমর্থক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। টিপিএলএফ অবশ্য হামলার সাথে কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে। সংঘাতের কারণে টিগ্রে'তে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ কঠিন হয়ে গেছে। এ এলাকায় খাবারের আটা ও জ্বালানির পাশাপাশি পানিরও ঘাটতি দেখা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই (বামে) ও এরিত্রেয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইস আফওয়ের্কি, ২০১৮ সালে সরকার ও টিপিএলএফ কেন যুদ্ধ করছে? ২০১৮ সালে মি আবিই ক্ষমতা নেয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক দশক ধরে ইথিওপিয়ার সেনা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে টিপিএলএফ'এর কর্তৃত্ব বজায় ছিলো। গত বছর মি. আবিই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙ্গে দেন এবং একাধিক নৃতাত্বিক গোষ্ঠী ভিত্তিক আঞ্চলিক দল গঠন করেন এবং তাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেন। টিপিএলএফ ঐ দলে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেপ্টেম্বরে ঐ দ্বন্দ্ব আরো বৃদ্ধি পায় যখন টিগ্রে'তে একটি আঞ্চলিক নির্বাচন হয়। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির জন্য সেসময় পুরো দেশে সব ধরণের ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। মি. আবিই সেসময় ভোটকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। টিগ্রে'র প্রশাসন মি. আবিই'র সংস্কার কার্যক্রমকে নেতিবাচকভাবে দেখে। তারা মনে করে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশি ক্ষমতা দিয়ে আঞ্চলিক রাজ্যগুলোর ক্ষমতা সীমিত করতে চান। এরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইস আফওয়ের্কির সাথে মি. আবিই'র 'নীতি বহির্ভূত' বন্ধুত্বরও সমালোচক তারা। ২০১৯ সালে এরিত্রিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়া মি. আবিই মনে করেন টিপিএলএফ তার কর্তৃত্বকে খর্ব করতে চায়। আমহারা অঞ্চলের মিশিশিয়া বাহিনী এরিত্রিয়া-ইথিওপিয়ার যুদ্ধ ইথিওপিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সাল থেকে মে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লড়াই করে এরিত্রিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ইটালির উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পরে ১৯৪৭ সালে এরিত্রিয়া স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ইথিওপিয়ার রাজা শাসন দাবি করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হস্তক্ষেপে এরিত্রিয়া ইথিওপিয়ার সঙ্গে প্রথমে একটি ফেডারেশন, পরবর্তীতে সাংবিধানিক স্টেট হিসাবে থাকে। তবে এরিত্রিয়া স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৯৬১ সালে ফেডারেশন বাতিল করে এরিত্রিয়াকে একীভূত করে নেয় ইথিওপিয়া। এরপর থেকেই এরিত্রিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বাধীনতার আন্দোলন চালাতে থাকে। সে সময় স্নায়ু যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ ইথিওপিয়া-এরিত্রিয়াকে সহায়তা করে। অবশেষে ১৯৯১ সালের মে মাসে ইথিওপিয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে এরিত্রিয়ার ইপিএলএফ মুক্তিযোদ্ধারা। একমাস পরেও ইপিএলএফ বাহিনীর সহায়তায় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট আদ্দিস আবাবার দখল নেয়ার করে নেয়। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে একটি গণভোট হয়, যেখানে এরিত্রিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়ে। সেই বছরেই এরিত্রিয়া স্বাধীন হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে দুই দেশের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। মাত্র দু বছর ধরে চলা সেই যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ২০০০ সালে দু দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হলেও সীমান্তে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা রয়েই যায়।
ইথিওপিয়া-টিগ্রে সংকট: এরিত্রিয়ায় রাজধানীর কাছে রকেট হামলা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ব্রুকলিনের প্রস্পেক্ট পার্কে পাওয়া যায় ৬০ বছর বয়সী ডেভিড বাকেলের দেহাবশেষ। ব্রুকলিনের প্রস্পেক্ট পার্কে পাওয়া যায় ৬০ বছর বয়সী ডেভিড বাকেলের দেহাবশেষ। মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে মি. বাকেল লিখেছেন জৈব জ্বালানি ব্যবহার করে মানবজাতি পৃথিবীর যে ক্ষতি করেছে তারই প্রতীকী প্রতিফলন হবে তার মৃত্যুতে। আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধানে নাসার নতুন মিশন তিনি বলেন অধিকাংশ মানুষই এখন দূষিত বায়ু গ্রহণ করে এবং সময়ের আগেই মারা যায়। সমকামী ও হিজড়াদের অধিকার আদায় সংক্রান্ত আইনি কার্যক্রমের জন্য খ্যাতনামা ছিলেন মি. বাকেল। পরে তিনি একাধিক পরিবেশবাদী সংঘের সাথে কাজ করেছেন। "আবহাওয়ার সব উপাদানের মধ্যে দিয়ে দূষণ ছড়িয়ে পরে আমাদের গ্রহ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে," সুইসাইড নোটে লিখেছেন এই আইনজীবি, যা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় উঠে এসেছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে তাঁর দেহ খুঁজে পাওয়ার আগে একাধিক সংবাদ সংস্থার কাছে এই নোটটি মেইল করে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন' "আমরা আমাদের কত বড় ক্ষতি করছি তা জৈব জ্বালানি দিয়ে আমার অকাল মৃত্যুর মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।" "এটি নতুন নয়, যেসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার আর কোনো পথ খোলা থাকে না সেসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এর আগেও অনেকে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন," মি. বাকেলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ। আরো পড়তে পারেন: ফিরে দেখা: সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর সিরিয়ায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে? সিরিয়ায় হামলা কি আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ?
নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট কাটানোর লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ খেলাপিদের জন্য এমন কিছু সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে যেটি অতীতে এতো ব্যাপকভাবে কখনো দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিশেষ নীতিমালা জারি করেছে সেখানে বলা হয়েছে, বকেয়া ঋণের ২% টাকা জমা দিলে ঋণ পুন:তফসিল করা যাবে। এরপর এক বছর ঋণ পরিশোধ না করে বাকি টাকা ১০ বছরের মধ্যে দিলেই হবে। সাবেক ব্যাংকার নুরুল আমিন বলেন, আগে নিয়ম ছিল ১০% থেকে ৫০% পর্যন্ত বকেয়া ঋণের টাকা দিয়ে সেটি পুন:তফসিল করা যেত। ঋণের অংশ বড় হলে সেক্ষেত্রে ৫% টাকা দিয়ে সেটি পুন:তফসিল করা যেত বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন বিধিমালায় ২% টাকা দিলে এক বছর ঋণ পরিশোধ না করার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটি আগে ছিল না। মি. আমিন বলেন, ২০১৫ সালের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ছিল সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত বছর। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১,৩১,০০০ কোটি টাকা। আরও পড়তে পারেন: হবু বরের মুখে মদের গন্ধ, বিয়ে ভাঙ্গলেন তরুণী ফারাক্কা ভেঙে দেয়ার দাবি ভারতের ভেতরেও অনলাইনে অর্থ চুরির আন্তর্জাতিক চক্র পাকড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ এবং আদায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য ঋণ প্রবাহ বজায় রাখা এবং ঋণ আদায়ের জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারের যুক্তি হচ্ছে, ঋণ খেলাপিদের ছাড় দিয়ে হলেও যদি টাকা আদায় করা যায় তাহলে ব্যাংকিং খাতে অর্থের প্রবাহ বাড়বে। অর্থাৎ তারল্য সংকট কাটবে। সরকারের আরেকটি যুক্তি হচ্ছে, যেসব ব্যবসা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের প্রতিষ্ঠানে হয়তো কর্মসংস্থান এবং উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। ঋণের টাকা ফেরত দেবার ক্ষেত্রে তাদের কিছু সুবিধা দিলে হয়তো প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চলতে পারবে। নতুন উদ্যোগের ফলে কি ঋণ আদায় বাড়বে? সাবেক ব্যাংকার নুরুল আমিন বলেন, ২০১৫ সালে ১৫টি ঋণ খেলাপি বড় কোম্পানিকে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন মাত্র দুটি কোম্পানি টাকা পরিশোধ করেছিল। "খুব সুখকর রেজাল্ট আমরা লক্ষ্য করিনি। মাত্র দুটি কোম্পানি টাকা পরিশোধ করেছিল। বাকিরা টাকা না দিয়ে আবার খেলাপি হয়েছেন," বলছিলেন মি. আমিন। ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি প্রায় এক বছর আগে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১,৩১,০০০ কোটি টাকা। এই ঋণের ৪৩% সরকারি ব্যাংকগুলোতে। গত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে খেলাপি ঋণ চারগুণ বেড়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন কিন্তু সেটি ফেরত দিচ্ছে না, তাদের শাস্তির বদলে উল্টো সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, যারা ঋণ খেলাপি হচ্ছে তাদের অনেকেই মনে করছে যে সময় মতো ঋণের টাকা ফেরত না দিলেও চলবে। সত্যিকার অর্থে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তারা ঋণ খেলাপি হচ্ছেন কিনা সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। "ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির পরিমাণটাই এখন বেশি হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন ঋণ নিতে যায় যেন এটা ফেরত দিতে না হয় সেরকম ইচ্ছা পোষণ করে," বলেন ফাহমিদা খাতুন। ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, বড় ঋণ খেলাপিদের সুবিধা দেবার জন্যই এই নতুন চালু করেছে সরকার।
বাংলাদেশের ঋণ খেলাপি: 'ঋণ নিতে যায় যেন ফেরত না দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সোহাগী জাহান তনু পরিবার বলছে, ঘটনার পর একাধিকবার তদন্তকারী সংস্থা ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হলেও এখনো রহস্যের কোন সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এক বছর হয়ে গেল, কিন্তু অগ্রগতি জানতে চাইলেই তদন্তকারীরা বলে, দেখছি। "কি দেখে, ওরাই জানে আর আল্লাহ জানে।" মি. হোসেন জানান, সন্তান হত্যার বিচার পাওয়ার ব্যাপারে তিনি এখন সন্দিহান হয়ে পড়ছেন। গত এক বছরে তনুর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আরো পড়ুন:কি হয়েছিল সেই গ্রুপ মিটিং এ? কীভাবে দুর্ধর্ষ জঙ্গি নেতা হয়ে উঠলেন মুফতি হান্নান? গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলতে তাদের ওপর চাপ রয়েছে জানিয়ে, মি. হোসেন প্রশ্ন রাখেন, "সন্তান হত্যার বিচার চাইতে কি আইনে মানা আছে?" ২০১৬ সালের ২০শে মার্চ রাতে কুমিল্লার সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। শুরুতে থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের পর গত বছরের পয়লা এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা সিআইডি। এরপর মে মাসে তনুর শরীর থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল সিআইডি। কিন্তু দুইবার করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। বিষয়টি নিয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন মহড়া ছিল, সেকারণে ঐ সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে কিছুটা ধীরগতি চলে এলেও এখন আবার পুরোদমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মি. জালাল জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে সামরিক ও বেসামরিক মিলে একশো'র বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তারা সন্দেহের তালিকা তৈরি করবেন। এছাড়া হত্যার স্থানে পাওয়া জিনিসপত্রের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাবার অপেক্ষায় আছেন তারা, এগুলো হাতে এলে তারা অপরাধীকে ধরতে পারবেন বলে আশা করেন।
‘সন্তান হত্যার বিচার চাইতে কি আইনে মানা আছে?’
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের টহল মঙ্গলবার এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলে, ১০ বছর আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের "ট্রিগার হ্যাপি" বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারত সরকার বিএসএফকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারীদের বিরুদ্ধে কিছুটা নমনীয় হতে এবং প্রাণঘাতী গুলির পরিবর্তে রাবার বুলেট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ভারতীয় এবং বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের উপর বিএসএফ এখনো নিপীড়ন, বিচারবর্হিভূত হত্যা, নির্যাতন এবং দুর্ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী যাদেরকে গরু পাচার, চোরাচালান এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধ করতে মোতায়েন করা হয়েছে তারা সবসময় বলে আসছে যে, শুধু হামলার স্বীকার হলেই তারা শক্তি ব্যবহার করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, "ভারতীয় সরকার বিএসএফকে নমনীয় হয়ে গুলি ব্যবহার না করার যে নির্দেশ দিয়েছিল তা নতুন করে হত্যা, নির্যাতন এবং অন্য মারাত্মক ধরণের নির্যাতন রুখতে পারেনি।" তিনি বলেন, "সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে জবাবদিহি করতে না পারার কারণেই দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীকে নতুন করে নির্যাতন এবং হয়রানির বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে।" আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যেই চলে মানুষের নিত্যদিনের জীবন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ভারত সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযমী হতে এবং বেআইনি হত্যা বন্ধের নির্দেশ জারি করেছিল এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার সময় ভারত দেশটিকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাসও দিয়েছিল্ এদিকে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা অধিকারের দেয়া এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত দশ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ৩৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ৫১ জনকেই হত্যা করা হয়েছে ২০২০ সালে। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুম ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ'র হাতে ১০৫টি হত্যার তদন্ত করেছে, তারা বলছে যে, প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। মাসুম আরো বলেছে যে, বিএসএফ সন্দেহভাজনদের বেআইনি আটক ও নির্যাতন করেছে এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের হয়রানি ও হুমকি দিয়েছে। বাংলাদেশ বরাবরই সীমান্তে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ করে আসছে। গত অগাস্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলে, "বাংলাদেশ বিষয়টিতে সব ধরণের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে।" ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নির্যাতনের ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিএসএফের কোন সদস্যকে জবাবদিহি করার কোন ঘটনা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানতে পারেনি বলে বিবৃতিতে অভিযোগ তোলা হয়। এর মধ্যে বহুল আলোচিত ১৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুন হত্যার ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয় যে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারানোর পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। ২০১৫ এবং ২০১৩ সালে বিএসএফের বিশেষ আদালতে দুই দফা বিচারের পর বিএসএফের অভিযুক্ত কনস্টেবলকে খালাস দেয়া হয়। এ মামলায় নতুন করে বিচারের আবেদনটি এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে।
বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে ওঠা সীমান্ত হত্যার অভিযোগ তদন্ত করতে ভারতকে আহ্বান জানালো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
স্বামী ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে আছেন প্রিন্সেস হায়া ৬৯ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মেদ একজন বিলিয়নিয়ার। ইন্সটাগ্রামে কয়েকটি কবিতা পোস্ট করেছেন যেখানে একজন নারীকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দায়ী করেছেন। জর্ডান বংশোদ্ভূত ও ব্রিটেনে লেখাপড়া শেখা ৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রিন্সেস হায়া ছিলেন শেখ মোহাম্মেদের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী। বিভিন্ন স্ত্রীর ঘরে দুবাইয়ের এই শাসকের ২৩টি সন্তান আছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া প্রথমে জার্মানি গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে। এখন তিনি বাস করছেন লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনসের একটি টাউন হাউজে যার মূল্য প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলার। তিনি এখন আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ঘোড়া' বলায় দুবাইয়ে কারাগারে ব্রিটিশ নারী উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে বরগুনা হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্সেস হায়া, লন্ডনেই থাকতে চান তিনি কিন্তু কেন তিনি দুবাইয়ের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে পালিয়েছেন? আবার তিনি এখন জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন? তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে প্রিন্সেস হায়া সম্প্রতি তার স্বামীর এক কন্যা শেখ লতিফার দুবাই থেকে পালিয়ে আবার রহস্যজনক ফিরে আসার পেছনে কিছু বিষয় জেনে যান। শেখ লতিফা এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সাগর পথে পালিয়েছিলেন কিন্তু ভারতীয় উপকূলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের বাধা দেয় ও পরে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় দুবাইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রিন্সেস হায়া তখন সেসময় আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসনের সাথে কাজ করেছিলেন। দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে যে শেখ লতিফা এখন দুবাইতে নিরাপদে আছেন, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে তাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর প্রিন্সেস হায়া সত্যি কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এ নিয়ে তার স্বামীর পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। একটি সূত্র জানায়, তিনিও অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে এখন আশঙ্কা করছেন। যদিও লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। তারা বিষয়টিকে একজনের ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রিন্সেস হায়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং এখন তিনি যুক্তরাজ্যেই বসবাস করতে চান। তবে যদি তার স্বামী তাকে ফেরানোর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেন তাহলে এটা ব্রিটেনের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার বিষয় হবে। আরব আমিরাত যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ। ঘটনাটি জর্ডানের জন্যও বিব্রতকর কারণ প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর সৎ বোন। আবার জর্ডানের বিপুল সংখ্যক নাগরিক দুবাইতে কাজ করে ও বিপুল রেমিট্যান্স আয় করে। তাই দুবাইয়ের সাথে বিরোধে জড়ানো কঠিন হবে জর্ডানের জন্যও।
দুবাই শাসক শেখ মোহাম্মেদের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন, পালিয়েছেন কেন তিনি?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফেসবুক নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের চিন্তা বাড়ছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নানা বিষয় নিয়ে তাঁর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কোনটি গুজব আর কোনটি সত্যি, সে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বেশ সময় লাগে তাঁর। ইয়াসমিন ইতি এমন অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন সাম্প্রতিক 'নিরাপদ সড়ক' সম্পর্কিত আন্দোলন চলার সময়। বাংলাদেশে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় - বিশেষ করে ফেসবুকে - 'গুজব ছড়ানোর' বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে তথ্য মন্ত্রণালয় গুজব শনাক্ত করার জন্য একটি সেল গঠন করেছে। সরকার বলছে, এ সেলের কাজ হবে ফেসবুকে কেউ 'গুজব' ছড়াচ্ছে কি-না, তা চিহ্নিত করা এবং যারা কাজটি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তবে 'গুজব শনাক্তকরণ সেল' গঠনের খবর নিয়ে ইয়াসমিন ইতি কিছুটা হলেও চিন্তিত। ইয়াসমিন ইতি বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "অবশ্যই এটা মানসিক চাপ। আমি এরপর থেকে কী লিখব আর কী লিখব না, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।" তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত তথ্য অধিদপ্তরে এখন থেকে ২৪ ঘণ্টা এই সেল কাজ করবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গুজবে কান দিয়ে কেন মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে? ফেসবুকে গুজব রটনাকারীদের খুঁজছে পুলিশ 'ফেসবুক পুলিশ': কিভাবে নজর রাখছে আপনার ওপর গুজব শনাক্তকরণ সেলে ২৪ ঘণ্টায় নয় জন কর্মকর্তা কাজ করবেন। অর্থাৎ প্রতি শিফটে তিন জন করে নজরদারীর কাজ চালিয়ে যাবেন। তথ্য সচিব মি: মালেক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা গুজব বন্ধ করতে চাই। আমরা যদি কোন গুজব শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তখন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।" তিনি বলেন, ফেসবুকে গুজব শনাক্ত করার পর সেগুলো সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সেল গণমাধ্যমকে সাহায্য করবে, যাতে তারা গুজব নির্ভর কোন সংবাদ পরিবেশন না করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মন্তব্য, ছবি কিংবা ভিডিও'র উপর ভিত্তি করে গণমাধ্যম নানা ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কোন 'গুজবের উপর ভিত্তি' করে গণমাধ্যম যাতে খবর প্রকাশ না করে, সে বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সেল দৃষ্টি রাখবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। তথ্য সচিব বলেন, "ফেসবুক, ইউটিউব বা এ ধরণের সামাজিক মাধ্যম যদি কোন নিউজপেপার বা টেলিভিশন চ্যানেলের নিউজের ভিত্তি হয়, তাহলে সেটার সঠিকতা যাচাই করবে কে?" "আমরা চিঠি দিচ্ছি সবাইকে যে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসমর্থিত তথ্য নিয়ে ফেক কোন নিউজ বা গুজবকে আপনারা দয়া করে ফেসবুকের রেফারেন্স দিয়ে প্রকাশ বা প্রচার করবেন না।" আব্দুল মালেক, তথ্য সচিব তথ্য মন্ত্রণালয়ের 'গুজব শনাক্তকরণ সেল' সকল গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য দেবে বলে উল্লেখ করেন মি: মালেক। বাংলাদেশের সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন যে তারা সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে উঠেছেন। তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এর প্রতিফলনও দেখা যায়। সরকারের উর্ধ্বতন মহলের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে ফেসবুক সরকার বিরোধী প্রচারণার একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তারা মনে করেন, অনেক সময় বিভিন্ন ইস্যুতে নানা 'ভুয়া খবর এবং গুজব' ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা হয়। সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় এ ধরণের বিষয় ছড়িয়েছিল বলে সরকারের মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় বলেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন যে আন্দোলনকারীদের হত্যা এবং ধর্ষণ করার ভুয়া খবর ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছিল। এরপর থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় গুজব শনাক্তকরণ সেলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বলে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেয়া হয়। তথ্য সচিব মি: মালেক বলেন, "আমরা গুজবকে গুজব হিসেবে জানিয়ে দেয়ার জন্যই কাজ করবো।" তবে কেবল তথ্য মন্ত্রণালয়ই নয়, ফেসবুকে নজরদারী করার জন্য পুলিশ, র‍্যাব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের বাইরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কর্মীরাও ফেসবুকের উপর কড়া নজর রাখছেন বলে জানা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের ইমেজ রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ? গুজব ঠেকানোর নামে ক্ষমতাসীন দলের 'অনিয়ম' চেপে রাখার বিষয়টি আসল উদ্দেশ্য হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় আছে ফেসবুক ব্যবহারকারী ইয়াসমিন ইতির মনে। তিনি বলেন, "তারা যদি মনে করেন আমরা যতই খারাপ কাজ করি, এরপর সেটা আর ছড়ানোর ভয় নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য অনেকের মনে একটা ভয় তো ছিলই - 'কেউ হয়তো হুট করে একটা ভিডিও করে ফেললো বা প্রমাণ ছড়িয়ে দিল তখন আমরা বিপদে পড়বো'। অ্যাট লিস্ট, এ ভয়টুকু ছিল।" "নিজেদের খারাপ কিছু, তারা চেষ্টা করবে যে চাপা পড়ে যাক, শুধু ভালো কিছুই প্রকাশ হোক।" তবে সরকার যদি 'সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে' শুধু গুজব শনাক্ত করার কাজ করে, তাহলে এটি ভালো হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। "অনেকে শুধু গুজব ছড়িয়ে-ছড়িয়ে অনেক লাইকের আশায় এবং অন্য আরো ব্যবসায়ী অসাধু উদ্দেশ্যে যেটা করে থাকে, এটা তো আসলে ক্ষতিকর মানুষের জন্য," বলছিলেন মিজ ইতি। ক্ষমতাসীনরা যদি দলীয় স্বার্থে গুজব শনাক্তকরণ সেলকে ব্যবহার না করেন, তাহলে এটি সাধুবাদ জানানোর মতো কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তথ্য সচিব বলছেন, 'গুজব শনাক্ত' কারার জন্য যে সেল গঠন করা হয়েছে, তা 'সঠিক তথ্য' দেওয়ার কাজ করবে। ঢাকায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলার সময় ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলম এবং মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল। পরে নওশাবা আহমেদ জামিনে মুক্তি পেলেও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহীদুল আলম এখনও কারাগারে আটক রয়েছেন।
কীভাবে কাজ করবে, কাদের ঠেকাবে বাংলাদেশে নতুন গঠিত গুজব শনাক্তকরণ সেল?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ফুটবলারদের জন্য রাঁধা শেফ জনি মার্শের একটি আইটেম ঐ তারকা ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার এবং গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। মার্শের কাস্টমারের তালিকায় একইসাথে রয়েছেন বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রাইনা এবং মারওয়ান ফেলাইনি। এরা দুজনেই ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপেরও তারকা। বিশ্বকাপের এই তারকাদের জন্য কী কী রাঁধেন জনি মার্শ? কাইল ওয়াকারের সাথে জনি মার্শ কাইল ওয়াকারের পছন্দ স্প্যাগাতি-বোলোনেজ রাশিয়ায় প্রতিটি দলের নিজস্ব শেফের টিম রয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে খেলোয়াড়রা কী খাবেন সে সিদ্ধান্ত অনেকটাই নেন টিম ম্যানেজার। "গ্যারেথ সাউথগেট আমাকে ডাকবেন বলে এখনও আমি আশা করছি, কিন্তু আমি জানি মাঠে ফুটবলাররা কতটা পারফর্ম করবেন, তার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ নির্ভর করে তারা ম্যাচের আগে কী খাচ্ছেন তার ওপর। একেক ফুটবলারের পছন্দ একেক-রকম, কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার ম্যাচের আগে চান স্প্যাগেতি বোলোনেজ। এটি একটি ইটালিয়ান খাবার। গরুর কিমা এবং টম্যাটো দিয়ে সস বানিয়ে সিদ্ধ স্প্যাগেতি বা পাস্তার সাথে পরিবেশন করা হয়। তবে ওয়াকার একটু ভিন্নভাবে খাবারটি চান। তার পাস্তা সিদ্ধ করা হয় বিটরুটের রসে যাতে ঐ পাস্তা বিটরুটের আয়রন এবং নাইট্রেট শুষে নিতে পারে। এই দুই খনিজ দ্রব্য মাঠে তাকে বাড়তি শক্তি দেয়। কেভিন দ্য ব্রাইনের জন্য খাবার রেঁধে তার বাড়িতে দিয়ে যান জনি মার্শ কেভিন দ্য ব্রাইনা চান প্রচুর শর্করা "আমার ক্লায়েন্টদের নিয়ে আমি অত্যন্ত খুশি, কারণ তারা খুঁতখুঁতে নন। তারা চান সাদাসিধে খাবার, কিন্তু তাতে থাকতে হবে পুষ্টি।" যেমন, বেলজিয়াম এবং ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের তারকা কেভিন ডি ব্রাইনা চান ম্যাচের আগে তার খাবারে যেন যথেষ্ট শর্করা থাকে, তবে খুব ভারি যেন না হয়। আর ম্যাচের পর তিনি চান আমিষ - মাংস। শেষবার তার ম্যাচের আগে শেফ জনি কেভিনের জন্য তৈরি করেছিলেন, বার-বি-কিউ চিকেন টাকো। একটি মোটা রুটির ভেতর বার-বি-কিউ করার মুরগির মাংসের টুকরো ঢুকিয়ে তার সাথে লেটুস পাতা, টম্যাটো এবং অ্যাভোকাডো ফলের ফালি দিয়ে রোল করে বানানো হয় মেক্সিকান ঘরানার এই সহজ খাবারটি। সাথে কেভিনকে তিনি দিয়েছিলেন গাজর এবং বাঁধাকপির সালাদ। খুবই মজার! কেভিনের পছন্দের টাকো গোলকিপারদের খাবারের পছন্দ ভিন্ন ইংল্যান্ড দলের গোলকিপার জর্ডান পিকপোর্ড ম্যাচের আগে খুব বেশি খেতে চান না। দরকারও নেই, কারণ অন্য ১০ জন খেলোয়াড়ের চেয়ে গোলকিপারকে ছুটতে হয় কম। ফলে তার শক্তি খরচও হয় কম। মাঝে মধ্যে ফুটবলাররা রুটিনের বাইরে বেরুতে চান। ফাস্ট ফুড খেতেও চান। "তারা যদি বার্গার এবং ফ্রাই চান, আমি তাদের জন্য মসলাদার টার্কি বার্গার করে দিই, খেয়াল রাখি বেশি যেন তেল-চর্বি ব্যবহার না হয়।" "মিষ্টি খাওয়ার ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে, কিন্তু অনেকেই মিষ্টি পাগল, বিশেষ করে ম্যাচের পর তারা পুডিং দাবি করেন..আমি আমার ক্লায়েন্টদের "অ্যাভোকাডো-চকলেট মুস" তৈরি করে দিই, সাথে কিছু প্রোটিন যোগ করে দিই, যাতে দ্রুত তাদের ক্লান্তি কাটে।" ইলকে গুনদোগানের বাড়িতে গিয়ে রাঁধতে হয় জনি মার্শকে ইলকে গুনদোগান চান তুর্কি খাবার জার্মানি এবং ম্যানচেস্টার সিটির ইলকে গুনদোগান জার্মান। কিন্তু তিনি তুর্কি বংশোদ্ভূত। "সুতরাং তার জন্য খাবার তৈরির সময় আমি চেষ্টা করি যেন তার পিতা-মাতার দেশের (তুরস্কের) খাবারের স্বাদ-গন্ধ যতটা সম্ভব রাখতে পারি। "অধিকাংশ সন্ধ্যায় আমি খাবার রেঁধে কেভিনের বাড়িতে পৌঁছে দিই, তারপর ইলকে'র বাড়িতে গিয়ে রান্না করি...অনেক সময় তার সাথে বসে ডিনার খাই।" আমার স্বপ্নের ক্লায়েন্ট.. তবে জনি মার্শের স্বপ্নের ক্লায়েন্ট অবশ্যই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। "আমি তাকে ভীষণ পছন্দ করি, আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফ্যান, সে আমার হিরো।" রোনাল্ডো এবং ফ্রান্সের পল পগবার জন্যও রাঁধতে চান ম্যানচেস্টারের এই ইংলিশ শেফ। আশা করছেন সে সুযোগ তার হবে। আরও পড়ুন: যেসব ভুলের কারণে হারলো জার্মানি 'ব্রাজিলের খেলা দিনের পর দিন পরিণত হচ্ছে'
বেলজিয়ামের কেভিন দ্য ব্রাইনা বা ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার কী খাবার খান?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কমপক্ষে ১৯৭টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট পড়েছে। আর অন্তত ১ হাজার ৮৮৯টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৫% থেকে ৯৯.৯৯ শতাংশ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থা ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স'র (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোথাও ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লেই সেখানে কমিশনের আলাদা নজর দেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। আরো পড়তে পারেন: রং ফর্সা করার মূল্য কীভাবে দিচ্ছেন লাখ লাখ নারী বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: সতর্ক করেছে আদালত দফায় দফায় কেন বাড়ছে স্বর্ণের দাম কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে এই অস্বাভাবিক ভোট পড়ার চিত্র উঠে এসেছে। তিনি বলেন, "এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। যেটা হয় না পৃথিবীতে কোথাও, সেটা চলতে পারে না। আমরা শুধু এটা দেখেছি মিলিটারি আমলে ডিক্টেটরদের সময়।" "যখন তারা গণভোট নিয়েছে তখন আমরা দেখেছি হান্ড্রেড পার্সেন্ট, নাইনটি পার্সেন্ট অনেক সময় একশভাগেরও বেশ ভোট পড়ার নজির আছে। এটা হয় একটা অটোক্রেটিক রুলের সময়।" "কিন্তু এখন তো আমাদের ডেমোক্রেসি। এখানে তো যে ভোট দিতে যাবে যাবে, ইচ্ছা হলে যাবে না। তাদের ওপরে তো কারো কোনো হাত নেই। সেখানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট কিভাবে ভোট পড়লো এটা ইলেকশন কমিশনের নিজেদেরকেই বের করতে হবে," বলেন তিনি। কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে এই অস্বাভাবিক ভোট পড়ার চিত্র উঠে এসেছে। ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট বেশিরভাগ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে। আর বিরোধী ২০ দলীয় জোটে নেতৃত্বে থাকা বিএনপি এবং তাদের নির্বাচনী জোট ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি আসনে জয় নিয়ে এখন সংসদে। ভোটের ফলাফল ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের প্রতীক নৌকা মার্কা ও বিরোধী দল বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের তারতম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ অনেক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় বিএনপির প্রার্থী মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ ভোট পেয়েছে। কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায় বহু কেন্দ্রে বিএনপি কোনো ভোটই পায়নি। নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে শতভাগ প্রদত্ত ভোটকে অস্বাভাবিক বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও। কিন্তু গেজেট প্রকাশের পর এ নিয়ে কিছু করার নেই বলেও মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনারদের কেউই মন্তব্য করতে রাজী হননি। নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর। তবে কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, "প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় কিন্তু অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন যে এটা যদি কোনো নির্বাচনকালীন অথবা গেজেট প্রকাশের আগে কেউ অভিযোগ করতো, সুনির্দিষ্টভাবে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারতো। যেহেতু এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসেনি, গেজেট নোটিফিকেশন করার পরে আর কিছু করার থাকে না। কিন্তু কেউ যদি এটা নিয়ে এখন কথা বলতে চান তাহলে উপযুক্ত আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।" এদিকে জাতীয় নির্বাচনের এত ভোট পড়ার তথ্য থাকলেও অনেকে ভোট দিতে পারেননি এমন অভিযোগও ছিল। ভোটের দিন এমন কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বিবিসির সাংবাদিকদের চোখে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি ৫০টি আসন পর্যবেক্ষণ করে ৪৭টিতে বুথ দখল করে জাল ভোট, এমনকি ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারার মতো অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। কিন্তু ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলছেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হার এত বেশি কেন সেটা নির্বাচন কমিশনকেই তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন। "অনেকেই জানে। অনেকেই অনেক থিওরি দিতে পারে। কিন্তু সেই থিওরি-তো লিগ্যাল হবে না। একে বৈধতা দেয়ার জন্য ইলেকশন কমিশন যদি প্রতিটা আসনে একটা কমিটি করেন এবং তাদের যদি সদিচ্ছা থাকে তারা বের করতে পারবে যে এই ঘটনাটা কী করে হলো।" ফেমার মুনিরা খান। তিনি বলেন, "আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হতে হবে। ইলেকশন ঠিকমতো হওয়াটা কিন্তু গণতন্ত্রের একটা বড় স্তম্ভ। সেই স্তম্ভ যদি নড়বড়ে হয়ে যায় তাহলে গণতন্ত্রের বাকি স্তম্ভগুলোও কিন্তু নড়বড়ে হতে থাকবে।" নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা বা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত কমিশন এখন পর্যন্ত নেয়নি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচনকে বিতর্ক ও অনিয়মের ঊর্ধ্বে রাখতে সবক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনার করছে। যদিও নির্বাচনে ইভিএম নিয়েও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। চট্টগ্রামে ভোটের আগে ব্যালট বাক্স ভরা পেলেন বিবিসি'র সাংবাদিক
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন: ১৯৭ কেন্দ্রে শতভাগ, হাজারো কেন্দ্রে ৯৫-৯৯% ভোট
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
এই সময়ে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের। ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে মোট ২,৮০১ জনের। আর মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো দুই লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৮জনের। এখন পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, নতুন করে মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন ও নারী নয় জন। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২০৯জন , এবং নারী ৫৯২ জন। বয়স বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১-৪০ বছর তিন জন, ৪১-৫০ বছরের সাত জন, ৫১-৬০ বছরের ১২ জন,এবং ৬১-৭০ বছরের ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া ৭১-৮০ বছরের আটজন এবং ৮১-৯০ বছরের চারজন মানুষ মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,০০৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ২০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ২,৮৫৯ জন, এবং কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২,৩২৪ জন। এ পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৭৯১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৯৭ জন।
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন আরো ৫০ জন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
২০১৭ সালের ৩১শে মে কাবুলে বোমা হামলার পর সেখানে মোতায়েন আফগান সেনা বিবিসি এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তানে সমীক্ষা চালায়। এতে দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালে বিদেশি সৈন্যরা চলে যাওয়ার সময় আফগানিস্তানের যতখানি জায়গা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল, এখন তার চাইতে অনেক বেশি জায়গা তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আফগান সরকার বিবিসির এই রিপোর্টকে অতটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, সরকারই বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফগানিস্তানে সম্প্রতি তালেবান এবং ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা বেড়ে গেছে। রাজধানী কাবুল এবং অন্যান্য শহরে সম্প্রতি বেশ কিছু হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। আফগান সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানের সঙ্গে কোন শান্তি আলোচনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনারা অনির্দিষ্টকাল ধরে থাকবে। বিবিসির সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে এখন ইসলামিক স্টেটও আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর। যদিও তারা তালেবানের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল। আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যেসব এলাকা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে কতটা অঞ্চল বিবিসির সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের ১৪টি জেলা বা পুরো দেশের প্রায় চার শতাংশ পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। আরও ২৬৩ টি জেলায় (পুরো দেশের ৬৬ শতাংশ) তাদের সক্রিয় প্রকাশ্য উপস্থিতি আছে। তালেবানের শক্তি সম্পর্কে আগে যা ধারণা করা হতো, এটি তার চেয়ে অনেক বেশি। আফগানিস্তানের প্রায় দেড় কোটি মানুষ বা জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হয় তালেবানের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বা তালেবান প্রকাশ্যে সক্রিয় এমন এলাকায় বাস করে। এসব এলাকায় তালেবান নিয়মিত হামলা চালায়। "প্রতিদিন আমি যখন বাড়ির বাইরে যাই, আমি আবার বাড়ি ফিরে আসতে পারবো কীনা, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নই", বলছিলেন আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওেজলা শিনাদান্দের এক লোক। "বিস্ফোরণ, সন্ত্রাস এবং তালেবান- এসব তো আমাদের নিত্যদিনের জীবনের অংশ।" আফগানিস্তারে দক্ষিণাঞ্চলকেই তালেবানের শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করা হতো। কিন্তু বিবিসির সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেশের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলেও তালেবানের প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে। ২০১৪ সালের পর যেসব এলাকা আবার তালেবানের দখলে চলে গেছে তার একটি হেলমান্দ প্রদেশ। এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদেশি সৈন্যরা লড়াই করেছিল। হেলমান্দে যুদ্ধ করতে গিয়ে সাড়ে চারশোর বেশি ব্রিটিশ সৈন্য মারা যায়। যেসব এলাকাকে তালেবানের প্রকাশ্য উপস্থিতি আছে বলে চিহ্ণিত করা হচ্ছে, সেসব এলাকায় তালেবান জঙ্গীরা নিয়মিত আফগান সরকারের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। আফগান সামরিক ঘাঁটির ওপর সুসংগঠিত হামলা থেকে শুরু করে সামরিক কনভয়ের ওপর একক বা চোরাগোপ্তা হামলা--সব ধরণের আক্রমণই তারা চালিয়ে থাকে।
আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ অঞ্চলই তালেবানের হুমকিতে: বিবিসির জরিপ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ইস্তাম্বুলে সমর্থকদের সঙ্গে উল্লাস করছেন ইক্রেম ইমামোগলু বেশিরভাগ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, প্রধান ক্ষমতাসীন দল ইক্রেম ইমামোগলু ৭ লাখ ৭৫ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অথচ এর আগের নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৩ হাজার। একে পার্টি অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর মার্চ মাসের ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হয়। এই ফলাফলের মাধ্যমে ইস্তাম্বুলে একেপির ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো। একেপির প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান টুইটারে লিখেছেন, ''আমি ইক্রেম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যে,প্রাথমিক ফলাফলে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।'' এর আগে মি. এরদোয়ান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, 'ইস্তাম্বুলে যে বিজয়ী হবে, সেই হবে তুরস্কের বিজয়ী।' আরো পড়ুন: 'রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিলে মার্কিন এফ-৩৫ পাবে না তুরস্ক' এরদোয়ান কেন ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভিডিও দেখাচ্ছেন সুদান নিয়ে রিয়াদ, কায়রো, আঙ্কারা ও মস্কোর কেন এই আগ্রহ খাসোগির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক শহরের জন্য এই বিজয় নতুন সূচনা বলে বর্ণনা করেছেন ইক্রেম ইমামোগলু ২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুরস্ক শাসন করছেন মি. এরদোয়ান। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা কামাল আতার্তুকের পরে তাকেই সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসন বলে মনে করা হয়। বিজয় বক্তৃতায় রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা মি. ইমামোগলু বলেছেন, এটা তার শহর এবং দেশের জন্য নতুন সূচনা। কারণ তার সমর্থকরা গণতন্ত্রকে ঠিকঠাক করে দেবেন। তিনি বলেছেন, ''আমরা ইস্তাম্বুলে নতুন একটি পাতা খুলছি। এই নতুন পাতায় থাকবে ন্যায়বিচার, সমতা আর ভালোবাসা।'' তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন। ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, মি. ইমামোগলু ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন আর মি. ইলড্রিম পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ। ৪৯ বছরের ইমামোগলু ইস্তানবুলের বেলিকডুযু জেলার মেয়র ছিলেন, তবে মার্চের নির্বাচনের আগে তার নাম খুব কম মানুষই জানতো। অন্যদিকে মি.ইলড্রিম একেপির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যখন তুরস্ক প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন সংসদে স্পিকার হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম ইস্তাম্বুল কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? এটি হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর। এখানে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বসবাস করে, যেখানে পুরো তুরস্কের জনসংখ্যা মাত্র আট কোটি। ইস্তাম্বুল দেশটির প্রধান ব্যবসা কেন্দ্রও। মি. এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান শুরু হয়েছিল এই শহর দিয়ে, যখন প্রায় পঁচিশ বছর আগে এই শহরের নিয়ন্ত্রণে আসে একেপি। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মি. এরদোয়ান। তুরস্কের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের যোগান দেয় ইস্তানবুল। এমনকি মি. এর্দোয়ানের শৈশবের জেলা বেয়োগলুতেও জয় পেয়েছেন মি.ইমামোগলু। এখন ইস্তাম্বুল, ইযমির আর আঙ্কারা, সবগুলো বড় শহরই বিরোধী শিবিরের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলো। অনেকে মনে করছেন, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের যুগের সমাপ্তিপর্ব শুরু হলো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কুলাউড়া ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জাপানী শিবিরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বন্দীদের ভয়াবহ জীবন
ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
আবিদ সুলতান ও আফসানা খানম ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের তথ্য ডেস্কের কর্মকর্তা মো: সাইফুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। আফসানা খানমের স্বামী আবিদ সুলতান নেপালে অবতরণের সময় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরদিন কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে মারা যান। আরো পড়ুন: দীর্ঘশ্বাসে ভারী আর্মি স্টেডিয়ামের বাতাস 'পরিবার চায়নি একমাত্র সন্তান পাইলট হোক' কাঠমান্ডুতে ১৭ বাংলাদেশী যাত্রীর মরদেহ সনাক্ত নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: চলছে স্বজনদের শোকের মাতম এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে মিস আফসানা ভেঙে পড়েন এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালের ভর্তি হন। সেখানে তাকে আইসিউতে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছিল। পরে আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর এলো। গত ১২ই মার্চ ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। ঐ ঘটনায় আহত হন ১০ জন বাংলাদেশি, নয় জন নেপালি এবং মালদ্বীপের একজন নাগরিক। বিমানটিতে মোট যাত্রী ছিলেন ৭১ জন। ক্যাপ্টেন আবিদ একসময় বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বলেছিলেন ক্যাপ্টেন আবিদ অত্যন্ত অভিজ্ঞ পাইলট ছিলেন এবং কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট টাওয়ার কন্ট্রোলের ভুল বার্তার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ বিমান বিধ্বস্তের জন্য ভুল অবতরণকে দায়ী করেছিলো। ছবিতে নেপালে বিমান দুর্ঘটনা নেপালে বিমান দুর্ঘটনা
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা: ক্যাপ্টেন আবিদের স্ত্রী আফসানা মারা গেছেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
রাজীব গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী। বুধবার তিনি নতুন একটি অভিযোগ করছেন যে রাজীব গান্ধী তার পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে একটি যুদ্ধজাহাজে চেপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে। গান্ধী পরিবারের কয়েকজন বিদেশি আত্মীয়, বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনের পরিবারসহ লাক্ষাদ্বীপে ওই ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল রণতরী আই এন এস ভিরাট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়ে ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রাজীব গান্ধীর ব্যাপারে অভিযোগটি করেন। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল যে রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং তাদের দুই সন্তান রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা তাদের কয়েকজন বন্ধু, সোনিয়ার মা, ভাই এবং সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের পরিবার ছুটি কাটাতে লাক্ষাদ্বীপের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে গিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করা হয়েছিল, যারা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিলেন যে ৮৭ সালের বর্ষশেষের সময়টা রাজীব গান্ধী ও তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা ওই দ্বীপে কাটিয়েছিলেন। কে কীভাবে পৌঁছিয়েছিলেন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ওই বাঙ্গারাম দ্বীপটিতে, সেখানে অতিথিদের কী কী খাবার দেওয়া হত, মুরগী বা পাউরুটি বা মদ কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেসবেরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাজীব গান্ধী। আরো পড়তে পারেন: ভারতের নির্বাচনে কেন পুরোনো মহাকাব্যের আধিপত্য? ভারতের রাজনীতিতে ত্রাস ছিলেন যে নির্বাচন কমিশনার মোদীর আমলে অভিধানে ঢুকল যে ছ'টি নতুন শব্দ তারপরে কে কীভাবে ফিরে গিয়েছিলেন - সবই লেখা হয়েছিল। প্রতিবেদনটিতে এটাও লেখা হয়েছিল যে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আই এন এস ভিরাটকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছোট জাহাজ আর একটি ডুবোজাহাজও পাঠানো হয়েছিল গান্ধী পরিবারের জন্য। অমিতাভ বচ্চন যখন ফিরছিলেন কোচি বিমানবন্দর হয়ে, সেখানে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজের এক চিত্র-সাংবাদিক তাকে দেখতে পেয়ে ছবি তুলে নেন, সেই ছবিও ইন্ডিয়া টুডেতে ছাপা হয়েছিল, যেমন ওই দ্বীপে থাকার সময়ে রাজীব গান্ধী আর সোনিয়া গান্ধীদের বেশ কিছু ছবিও ছাপা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে গোটা ঘটনাটা সংবাদমাধ্যমের চোখের আড়ালে ঘটানো হয়েছিল। সেখানে যে গান্ধী পরিবার গিয়েছিলেন, এ নিয়ে বোধহয় কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি ছুটি কাটাতেই গিয়েছিলেন কী না, বা তার ভ্রমণের জন্য যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছিল কী না, এই বিষয়গুলি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। সেই সময়ে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক ছিলেন ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা যিনি পরে ভারত সরকারের শীর্ষ আমলা হয়ে অবসর নেন। তিনি বলছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন লাক্ষাদ্বীপে এবং তারপরে সেখানে থেকে যান। কয়েকজন পারিবারিক বন্ধুকেও ডেকে নেন। আর যুদ্ধ জাহাজটি সেখানে রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য। মি. গান্ধীর বিদেশী আত্মীয়রা কেউই যুদ্ধজাহাজে চাপেন নি। রণতরী আইএনএস ভিরাট। কংগ্রেস মুখপাত্র পভন খেরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদী আসলে নিজের ব্যর্থতাগুলোকে ঢাকতেই নিহত প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনছেন। মি. খেরা উল্লেখ করেছেন নৌবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ অফিসার - ভাইস মার্শাল ভিনোদ পাসরিচার মন্তব্য। মি. পাসরিচা সেই সময়ে আই এন এস ভিরাটের প্রধান ছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে রাজীব গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য যুদ্ধজাহাজে দুদিন কাটিয়েছিলেন। ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা এবং ভাইস মার্শাল পাসরিচার মন্তব্য দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ -- কারণ তারা কেউই অস্বীকার করছেন না যে রাজীব গান্ধী সেখানে যান নি, কিন্তু বলছেন ছুটি কাটাতে নয়, সরকারি কাজে গিয়েছিলেন সব প্রোটোকল মেনে। তামিল গেরিলা সুইসাইড বম্বারদের ঘটানো বিস্ফোরণে নিহত রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর প্রায় ২৮ বছর পরে কেন নরেন্দ্র মোদী হঠাৎ মি. গান্ধীর দিকে বারে বারে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন, এটা অনেকের কাছেই অদ্ভুত লাগছে। রাজীব গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী - দুজনেই যেহেতু নিহত হয়েছিলেন.. তাই অনেক মানুষের মনে শহীদ পরিবার হিসাবে তাদের প্রতি একটা সহানুভূতি আছে। সেটাই বোধহয় ভাঙ্গতে চাইছেন মি. মোদী। কোনও বিশ্লেষক আবার বলছেন, আর এস এসের যেহেতু স্বাধীনতা আন্দোলনে সেরকম কোনও ভূমিকাই ছিল না, সেই প্রসঙ্গটা যাতে বেশি প্রচারে না আসে, তার জন্যই গান্ধী পরিবারকে টার্গেট করছেন মি. মোদী। আবার রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগে সরাসরি জড়ানো যাচ্ছে না, উল্টোদিকে মি. মোদীর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠছে। তাই পাল্টা আক্রমণের পথ হিসাবে রাজীব গান্ধীর নাম টেনে আনা হচ্ছে। কখনও যুদ্ধজাহাজে ছুটি কাটানোর কথা বলা হচ্ছে, আবার কখনও বফর্স মামলার কথা বলা হচ্ছে, যে মামলায় হাইকোর্ট রাজীব গান্ধীকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: বাজারে ৫২টি খাদ্যপণ্যেই ভেজাল: বিক্রি চলছে বিভিন্ন দেশে শিশুর যেসব নাম রাখা নিষেধ প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় মিয়ানমারে বিমান আছড়ে পড়ার মুহূর্ত
রাজীব গান্ধী কি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
এরকম ঘটনা নতুন নয়। হাতিরঝিলসহ ঢাকার বিভিন্ন উদ্যানে বেড়াতে গিয়ে এরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন অনেকেই। বুধবার হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা লোকজনকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ৫০ কিশোরকে আটক করেছে ঢাকার পুলিশ। একজন ভুক্তভোগী পুলিশ সদর দপ্তরের ফেসবুক পাতায় অভিযোগ জানানোর পর মঙ্গলবার থেকে হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেদিন ১৬ কিশোরকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের মা-বাবার জিম্মায় দেয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহা-পরিদর্শক মো. সোহেল রানা বলছিলেন, ''হাতিরঝিলে বিনোদন বা অবসর কাটাতে আসা মানুষজনের সময় স্বস্তিদায়ক করার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে এখন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করবে।'' আরও পড়তে পারেন: কোনরকম হয়রানির শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ অবসর কাটাতে গিয়ে কী ধরণের ভোগান্তির মুখে পড়ে মানুষ ঢাকার বিভিন্ন পার্কে অবসর কাটাতে গেছেন, এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় বিবিসি বাংলার। মনসুর আহমেদ বলছিলেন, তিনি পরিবার নিয়ে এখন আর কোন উদ্যানে যেতে স্বস্তি বোধ করেন না। কারণ সেখানে গেলেই ভিক্ষুক, নানা জিনিস বিক্রেতারা এসে হয়রানি করতে শুরু করে। মাহমুদা রহমান তার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন। একবার ঢাকার একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার পর একজন হকার এসে তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস না করেই কোমল পানীয়ের বোতল খুলে রেখে যান। তারা সেটি চান নি বা স্পর্শও করেননি। একটু পরে এসে সে টাকা দাবি করে। তারা যখন বলেন যে, তারা তো এটা চাননি, তখন উল্টো তাদের বলা হয়, বোতল খোলা হয়েছে, এখন তাদের টাকা দিতেই হবে। আরও যেসব ভোগান্তির মুখে মানুষ পড়ে: হাতিরঝিলে লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগে দুই দিনে ৬৬ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ কীভাবে ঝামেলা এড়ানো যেতে পারে হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আবদুর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''মানুষজন ঘুরতে আসবে, পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হবে, এটাই স্বাভাবিক। তারা যাতে কোন রকম ঝামেলা বা হয়রানিতে না পড়েন, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি তারাও নিজেরা কিছুটা সতর্ক থাকলে অনেক ঝামেলা এড়াতে পারেন।'' তিনি যেসব পরামর্শ দিয়েছেন: বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
বেড়াতে গিয়ে ঝামেলা থেকে বাঁচতে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
১৯৯৮ সালে ভারত পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালালে পুরো দেশ তা স্বাগত জানিয়েছিল কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সে নীতি পুনরায় মূল্যায়নের সময় হয়েছে। আরেক পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে যখন দেশটির সম্পর্কে রীতিমত উত্তেজনা চলছে, তখন ভারতের এমন ঘোষণায় দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। মি. সিং অগাস্টের পাঁচ তারিখে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ, যা কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়, তা বিলোপ করার ঘোষণা দেবার পর এই মন্তব্য করেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর, কাশ্মীরের আরেক দাবিদার পাকিস্তান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কী বলেছেন রাজনাথ সিং? ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, ভারত এতদিন ঐ নীতি মেনে এসেছে। ১৯৭৪ সালে ভারত পোখরানে প্রথম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় ভবিষ্যতে 'উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর' নির্ভর করবে এই নীতির বহাল থাকা বা না থাকা। "ঐ নীতি চিরস্থায়ী কিছু নয়, এবং বড় কোন সংকটে পড়লে ভারত ঐ নীতিতে অটল থাকবে বিষয়টি তেমন নয়," তিনি বলেন। মি. সিং পোখরানে বসে এ কথা বলেন। এর একটি তাৎপর্য হলো নব্বই এর দশকের শেষ দিকে পোখরানেই ভারত পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছিল। একই কথা মি. সিং তার নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও পোষ্ট করেন এবং সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে একই বার্তা দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। এটাই ছিল ভারত সরকারের তরফ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত যে, ভারত হয়ত শীঘ্রই তার 'নো ফার্স্ট ইউজ ডকট্রিন' অর্থাৎ আক্রান্ত হবার আগে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে যাচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গারা কি আদৌ ফিরবে? উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা কেমন আছেন মিয়ানমারের মুসলিম নাগরিকেরা? কাশ্মীরে শুক্রবার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলের ডাক অর্থাৎ নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে দরকার মনে করলে ভারত নিজেই এখন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। 'নো ফার্স্ট ইউজ ডকট্রিন' কী? এটি লিখিত কোন চুক্তি বা নীতিমালা নয়। রাজনাথ সিং স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য এদের সবারই পরমাণু হামলা চালাবার অধিকার ছিল। এক্ষেত্রে প্রথমে পরমাণু হামলা চালানোর পক্ষে দুইটি যুক্তি ছিল-- ১. যদি কোন রাষ্ট্র প্রচলিত সামরিক শক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে হারতে বসার উপক্রম হয়, তাহলে প্রতিপক্ষকে হারানোর জন্য কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে, অথবা ২. কোন রাষ্ট্রের যদি আশংকা থাকে যে প্রতিপক্ষ তার ওপর পরমাণু হামলা চালাতে পারে, তাহলে নিজের নিরাপত্তার জন্য ঐ রাষ্ট্র আগে পরমাণু হামলা চালাতে পারবে। ১৯৯৮ সালে ভারত যখন প্রথম পারমানবিক পরীক্ষা চালায়, দেশটি তখন ঘোষণা দিয়েছিল, পরমাণু অস্ত্র কেবলমাত্র আক্রান্ত হলে জবাব দেবার কাজে ব্যবহার করা হবে। ভারত বলেছিল, এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে সংঘাত কমানো সম্ভব হবে। ১৯৬৪ সালে চীন যখন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালায়, সেসময় তারা ঘোষণা দিয়েছিল কোন অবস্থাতেই চীন প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে কারো ওপর হামলা চালাবে না। ১৯৬৪ এবং ১৯৬৬ সালের মধ্যে চীন তিনবার পরমাণু পরীক্ষা চালায় যদিও ভারত কখনোই চীনের ঐ ঘোষণায় বিশ্বাস করেনি। বরং চীনের কারণেই ভারত নিজে পারমানবিক শক্তি অর্জনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। অন্য কোন দেশের আছে এ নীতি? ভারত আর চীন ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন দেশেরই 'নো ফার্স্ট ইউজ ডকট্রিন' নীতি নেই। উত্তর কোরিয়া এক সময় এ কথা বলেছিল। কিন্তু তার কথাও কেউ বিশ্বাস করেনি, কারণ তার পরমাণু শক্তি অর্জনের মূল কারণটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আক্রমণ ঠেকানো, ফলে সে আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এমন বিশ্বাস কারোই ছিল না। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন জটিল সম্পর্ক বিরাজ করছে এমনকি ভারতের সবচেয়ে কাছের শত্রু পাকিস্তান নিজেই আগে পরমাণু হামলা চালাতে পারবে। ভারত কেন নীতি পুনর্মূল্যায়ন করতে চায়? দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভারত যে নীতি মেনে চলছে, তা নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত বরাবরই ছিলো। কিন্তু এবারের মত সরকারের কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে সে কথা কথা বলেননি। ১৯৯৮ সালে 'নো ফার্স্ট ইউজ ডকট্রিন' ঘোষণার পর, ২০০৩ সালে ভারত সেটির কিছুটা সংস্কার বা পরিমার্জন করে। যাতে বলা হয়, কেবল পারমানবিক হামলা নয়, কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার করে কেউ হামলা চালালেও ভারত পরমাণু হামলা চালাতে পারবে। ২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এই নীতির মাধ্যমে ভারত নিজেকে দুর্বল করে তুলছে কিনা। যদিও সেই বক্তব্যকে তিনি নিজের ব্যক্তিগত মত বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু মি. সিং ও পথে হাঁটেননি। ১৯৯৮ সালে ভারতের কেবলমাত্র কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র, সীমিত গোয়েন্দা সক্ষমতা এবং আকাশ থেকে হামলা চালানোর মাঝারি মানের সামর্থ্য ছিল। কিন্তু এখন ভারতের উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র, মহাকাশে কয়েকটি স্যাটেলাইট, নানা মাপের ও সক্ষমতার ছোট বড় ক্ষেপণাস্ত্র যা দিয়ে অল্প দূরত্ব থেকে হামলা চালানো যায়, এমন সব অস্ত্রের বিপুল এক ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া রাশিয়া ও ইসরায়েলের সাহায্য নিয়ে এমন এক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে ভারত যা প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে সহজে ধ্বংস করতে পারবে না। মি. সিং এর কথা কেন গুরুত্বপূর্ণ? 'নো ফার্স্ট ইউজ ডকট্রিন' এর মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ভারত নীতিগত দিক থেকে একটি উচ্চতর অবস্থানে থাকে। এর মানে হচ্ছে, ভারতের আগে হামলা করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু শান্তির জন্য সে তা করছে না। কিন্তু এখন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার বিষয়টির সমালোচনা করছেন দেশটির অনেক বিশ্লেষক। অবসরপ্রাপ্ত লে: জেনারেল প্রকাশ মেননের যুক্তি হচ্ছে, এখন একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "ভারতের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এখন ফ্যাসিস্ট, বর্ণবাদী, হিন্দু আধিপত্যবাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে।" তবে, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কোন মতবাদ বা বাকযুদ্ধের ওপর নির্ভর করেনা। বরং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে পুরো বিষয়টি। তবে এর মূল ঝুঁকি হচ্ছে, গত সপ্তাহেই পাকিস্তান কিছুটা গোপনেই জানিয়েছে যে তারা ভারতের কথা বিশ্বাস করেনা। ফলে যেটা হতে পারে, তা হলো এখন পাকিস্তান আরো বেশি পরমাণু শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেবে। আর ভারতের সামনে তার পরীক্ষাও চালাবে। সেটাই হবে আসল ঝুঁকি। এছাড়া যেকোনো সংকটে আগের চেয়ে দ্রুত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্ন চলে আসতে পারে। তাতে শান্তির জন্য পাকিস্তান কোন উদ্যোগ নেবার পরিবর্তে, বরং তারাও তখন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে চাইবে। এখন দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা এবং সম্ভাব্য ভুল বোঝাবুঝির কী পরিণাম হতে পারে, সেটা এখনি পরিষ্কার বোঝা না গেলেও যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো, নিঃসন্দেহে এ অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা সামনের দিনে বাড়তে যাচ্ছে।
পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে কেন পরির্বতন আনতে চাইছে ভারত?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শিশুদের থেকে বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি না বলেও জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে পরিচালিত পুরো বিশ্বের ৬৩৩২টি গবেষণা মূল্যায়ন করে দেখেছে। এসব গবেষণা মূল্যায়নের পর এই দুটি প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা হলো, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তির তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৬% কম। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মারাত্মক অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি শিশুদের কম থাকে। বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটি বোঝাটাই অনেক কঠিন বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম। তিনি বলেন, "অনেক পরিবারের মানুষেরা বুঝতেই পারে না যে তাদের বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত কিনা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কোন উপসর্গ থাকে না।" "যাদের জ্বর নাই, কাশি নাই, ছোট বাচ্চা হলে তো বলতেই পারে না যে গলাব্যথা হয়েছে, সে কারণে বোঝাটাই কঠিন।" ডা. হেলেনা বেগম বলেন, বাংলাদেশে শিশুরা যেসব রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ। আর এর উপসর্গ হচ্ছে নাক দিয়ে পানি পরা, কাশি দেয়া, ঘড়-ঘড় করে শব্দ করা, কোন কোন ক্ষেত্রে গলাব্যথা অথবা কানে ব্যথা। তার মতে, করোনার উপসর্গগুলোও অনেকটা একই রকম। সে কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ নাকি করোনা তা বোঝা যায় না। শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরো পড়ুন: শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম বলেন, যেসব পরিবারের করোনা সংক্রমণ হয়েছে, কিংবা করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিংবা যেসব শিশুর বাবা-মায়েদের বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়, সেসব শিশুর মধ্যে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে তাদেরকে আলাদা করে ফেলতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, শিশুদের থেকে করোনা ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কতটা থাকে। কারণ পরিবারে শিশুদের সাথে অন্য সদস্যদের মেলা-মেশায় সাধারণত কোন বিধি-নিষেধ থাকে না। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সাথে তাদের মেলামেশার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। শিশুরা কি করোনাভাইরাস ছড়ায়? শিশুরা কতটা সহজেই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে সে বিষয়ে তেমন কোন পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন যে তথ্য দেয় তাতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৩১টি ক্লাস্টারের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায় যে, মাত্র তিনটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শিশুদের থেকে হয়েছে। অর্থাৎ শিশুদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ১০%। গবেষকরা মনে করেন, যেহেতু শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক কম তাই তাদের থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তুলনামূলক কম। অনেকটা একই তথ্য দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনও। তিনি বলেন, "শিশুদের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গগুলো বেশি থাকে তাহলে ঝুঁকিও বেশি থাকে। আর উপসর্গ মৃদু বা উপসর্গহীন হলে সেক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রাটা কমে যায়।" "যাদের মধ্যে জ্বর এবং কাশি থাকবে তাদের থেকে সংক্রমণের মাত্রাটা বেশি থাকবে।" ভাইরোলজিস্ট তাহমিনা শিরিন বলেন, পরিবারে যদি কোন শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তবে এক্ষেত্রে বাবা-মা বা যারা সেবা দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে বেশি থাকে। পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিশুদের ধারণা দিন। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, কোভিড আক্রান্ত শিশুদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা তা দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। প্রথমটি হচ্ছে, শিশুর হাঁচি-কাশির মতো উপসর্গ বেশি থাকলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকবে। আর উপসর্গ মৃদু থাকলে বা কম থাকলে ঝুঁকি কিছুটা কম থাকবে। কারণ এতে ড্রপলেটস নির্গত হওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কন্টাক্ট টাইম বা সংস্পর্শে আসার সময় কতটা। অর্থাৎ তার মতে, যদি কোভিড আক্রান্ত কোন শিশু দীর্ঘ সময় ধরে বয়স্ক কারো সংস্পর্শে থাকে তাহলে ঝুঁকির মাত্রাটা এমনিতেই বেড়ে যাবে। তবে সব মিলিয়ে শিশুদের থেকে বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি না বলেও জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ। ঝুঁকি কমাতে হলে কী করতে হবে? শিশুদের থেকে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্টরা। এর মধ্যে রয়েছে- ১. শিশুদের আলাদা রাখা শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে খুব বেশি কিছু বোঝে না তাই পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বন্ধ রাখতে হবে যাতে শিশুরা কাছে আসতে না পারে। ২. বাইরে থেকে এসে সরাসরি শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ তাই শিশুদের বাইরে যাওয়ার মাত্রাও কম। তাই সেক্ষেত্রে তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য যারা বাইরে যান তাদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস মুক্ত না হয়ে বা বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। ৩. আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে আইসোলেশন করা শিশুরা কোভিড আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে আলাদা ইউনিট বা ব্যবস্থা করা যেতে পারে যেখানে শুধু শিশুদেরই আইসোলেশনে রাখা হবে। এক্ষেত্রে সব শিশুদের মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না। ৪. পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক পরা যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. শিশুদের সচেতন করা শিশু বিশেষজ্ঞ ডা হেলেনা বেগম মনে করেন, কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যেসব পরিবারে কোভিড রোগী রয়েছে সেসব পরিবারের বাচ্চাদের কিছু কিছু অভ্যাস মিনার কার্টুনের মতো বুঝিয়ে বলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, শরীরের কোথায় কোথায় হাত দেয়া যাবে না, কোন কিছু যেন তেন ভাবে ফেলে রাখা যাবে না, কোথায় যাওয়া যাবে না। "সেই সাথে শিশুদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কী কী খাবার বেশি খেতে হবে।কোন কোন কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে।"
করোনা ভাইরাস: শিশুর কোভিড-১৯ হওয়া কতটা শঙ্কার এবং ঝুঁকি কমানোর ৫টি উপায়
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডের সেই দলে ছিল ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান। "ওদের দলে মরগ্যান, বয়েড র‍্যানকিন এর মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন, তবে আমাদের মধ্যে তেমন ইনফরমেশন ছিল না এবং আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, সেই বিশ্বকাপ যেভাবে খেলছিলাম আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম এই ম্যাচটা আমরা জিতে যাবো," হাবিবুল বাশারের স্মৃতিচারণে ২০০৭ সালের ১৫ই এপ্রিল। ঐ হার অনেক বড় ধাক্কা ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক। আরো পড়ুন: ক্রিকেট: মুস্তাফিজুর রহমান কি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছেন? ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে যারা রয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফরহাদ ও তাসকিন জার্সি বিতর্ক: পাকিস্তান দলের সঙ্গে কতটা মিল অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান এই বিশ্বকাপকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ। সেখানে এই হারটা মেনে নেওয়ার মতো ছিল না বলেন হাবিবুল বাশার। মি: বাশার বাংলাদেশের হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলেন, ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটিতে রয়েছেন। কেমন ছিল ম্যাচের গতিপথ ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে বারবাডোজের ব্রিজটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক ট্রেন্ট জনসন । শুরুতেই আইরিশরা একটা শক্ত জুটি গড়ে তোলে। ২৫ ওভার ৩ বল ব্যাট করে পোর্টারফিল্ড ও ব্রে ৯২ রান তোলেন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ব্রে কে ফিরিয়ে দেন। মাশরাফী বিন মোত্তর্জা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন এরপর ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক এইউন মরগ্যান, যিনি তখন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার ছিলেন, তিনিও প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রান আউট হয়ে। ঐ ম্যাচে মোট চারজন আইরিশ ব্যাটসম্যান রান আউট হন। ১২৮ রানে ৩ উইকেট পড়লেও, কেভিন ও'ব্রায়ান ও ট্রেন্ট জনসন ভালো জুটি গড়েন। ও'ব্রায়ান ৪৪ বলে ৪৮ ও ট্রেন্ট জনসন ২৩ বলে ৩ রান তুলেন। যার ফলে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৩ রানে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামা পরেই আইরিশদের ধীরগতির মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে হিমশিম খাওয়া শুরু করে। তামিম ইকবাল ধীর গতিতে ব্যাট করে ৫৯ বল খেলে ২৯ রান তোলেন। শাহরিয়ার নাফিসও আউট হয়ে যান ১৮ বলে ৭ রান করে। ব্যাটে বলে বড় ভূমিকা পালন করেন আইরিশ অধিনায়ক ট্রেন্ট জনসন ৪৮ রানে তিনটি ও ৯৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মোহাম্মদ আশরাফুল, যিনি ৩৫ রান করে র‍্যানকিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর ৩২ রান করা অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ট্রেন্স জনসনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ৪১ ওভার ২ বল ব্যাট করে ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ঐ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভারতকে গ্রুপ পর্বে হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তোর পতন ঘটেছিল যেভাবে স্কুলে বন্দুকধারীকে থামাতে গিয়ে নিহত হলেন মার্কিন কিশোর গরুর দুধে জীবাণু: কী বলছে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ?
ক্রিকেট: আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে কী শিক্ষা নিল বাংলাদেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
১৯৭১-এ পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তার অভিযোগে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে - ফাইল ছবি বিবিসি বাংলাকে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুলভাবে কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম এলে তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে তা তদন্ত করে তালিকা সংশোধন করা হবে। রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর মঙ্গলবার কয়েকজনের নাম অর্ন্তভূক্তির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ বা মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা হয়েও নিজের নাম রাজাকারের তালিকায় দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তাকারী রাজাকার, আল-বদরসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসার বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে। তালিকায় যাদের নাম নিয়ে বেশী সমালোচনা হচ্ছে, তাদের একজন বরিশালের আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী, যিনি একজন গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম এসেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায়। মি: চক্রবর্তীর সাথে তার মা প্রয়াত ঊষা চক্রবর্তীর নামও তালিকায় রয়েছে। তপন কুমার চক্রবর্তীর বাবা সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ই পাকিস্তানী বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: শিগগীরই প্রকাশ করা হবে ৭১এর 'রাজাকারদের তালিকা' মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে গঠিত হয়েছিল রাজাকার বাহিনী দোষ প্রমাণের আগে 'রাজাকার' না বলার পরামর্শ মি: চক্রবর্তীর মেয়ে এবং রাজনৈতিক দল বাসদের বরিশাল শাখার নেত্রী ডা: মণীষা চক্রবর্তী বলেন, রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দিয়ে তাদের অপমান করার দায় সরকার এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, "আমার বাবা একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা, আর আমার দাদীর স্বামী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এ রকম দু'জনের নাম রাজাকারের তালিকায় এসেছে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একই পরিবারের দু'জন সদস্যের নাম দেয়া হয়েছে।" "এমন একটি চক্রান্তের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি স্পর্শকাতর তালিকা ব্যবহৃত হতে পারে, সেটি খুবই দুঃখজনক।" মণীষা চক্রবর্তী বলেন, "আমরা এই তালিকা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। এটা প্রণয়ন করে যারা রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান অপমান করলেন, তাদেরও চিহ্নিত করে শাস্তি হওয়া দরকার।" মুক্তিযুদ্ধের সময় বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মজিবুল হক। তিনি সহ সেখানকার প্রয়াত চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসার প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম এবং বগুড়া থেকেও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম রাজাকার তালিকায় এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার আগেই বলেছিল রাজাকারের তালিকা তৈরি এবং তা প্রকাশ করা হবে - ফাইল ছবি রাজশাহীর তালিকায় আইনজীবী গোলাম আরিফের নাম আছে। কিন্তু তার বিস্তারিত পরিচয় সেখানে দেয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের অন্য আইনজীবীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্য তার নাম দেয়া হয়েছে রাজাকারের তালিকায়। "আমি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এই তালিকা দেখে বিস্মিত হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে যারা রাজাকার, আল-বদরের তালিকায় অর্ন্তক্ত করেছে, সেটা কিভাবে হলো এবং কারা এটা করেছে -এটা খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।" তবে রাজাকারের তালিকা নিয়ে ক্ষোভের মুখে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী অবশ্য অনেকদিন ধরে যাচাই করে রাজাকারের তালিকা তৈরি এবং তা প্রকাশ করার কথা বলে আসছিলেন। এখন তা প্রকাশ করার পর অনেক প্রশ্ন উঠলে তিনি দায় চাপাতে চাইছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "তালিকা আমরা প্রণয়ন করি নাই। প্রকাশ করেছি।" "যে তালিকা আমরা পেয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, তার দাড়ি কমা সেমিকোলন - কিছুই আমরা পরিবর্তন করি নাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী যেভাবে তালিকা করেছিল, সেটাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের দিলে আমরা সেটাই প্রকাশ করেছি।" পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রীর ব্যাখ্যা সম্বলিত একটি বিবৃতিও প্রকাশ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দালাল আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, তাদের তালিকাই তারা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকের মামলা প্রত্যাহার হওয়ার ব্যাপারে নথিতে থাকা ব্যাখ্যা প্রকাশ না করায় এখন বিভ্রান্তি হচ্ছে। তিনি মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির বলেছেন, তারা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করছেন। "মন্ত্রণালয় একটা আমলানির্ভর তালিকা করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটা জগাখিচুড়ি তালিকা ছিল, সেটাই তারা প্রকাশ করে দিয়েছে। যার ফলে এত বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক দেখা দিয়েছে।" শাহরিয়ার কবির বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এই তালিকায় এসেছে, আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। আমরা তদন্তে দেখছি কিভাবে এই নামগুলো এই তালিকায় এলো। "স্থানীয়ভাবে তালিকা যাচাই করা খুব কঠিন কাজ ছিল না। ফলে তালিকা তৈরির পদ্ধতির কারণে বিতর্ক হচ্ছে।। আমরা বৃহস্পতিবার আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করবো।" বিরোধী দল বিএনপিও এই তালিকার পিছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগ তুলেছে। তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে। প্রথম ধাপে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত রোববার।
রাজাকার তালিকা নিয়ে তোলপাড়-ক্ষোভ বাংলাদেশে, মন্ত্রী বলছেন আবেদন করলে সংশোধন করা হবে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন। এই আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর পর নিজের শরীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরির নির্দেশনা দিয়ে যেতে পারবেন। প্রচলিত রীতির কবর দেয়ার বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতিকে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিকল্প সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন। ওয়াশিংটন রাজ্যের গভর্নর জে ইনস্লে মঙ্গলবার স্বাক্ষর করার পর ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। বিলের পক্ষে আন্দোলনকারী ক্যাটরিনা স্পাড এএফপিকে বলেছেন, ''সাধারণ কবর দেয়ার বদলে এরকম মাটির সাথে মিশে যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হবে প্রাকৃতিক, নিরাপদ, স্থায়ী এবং পৃথিবীর ভূমির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।'' তিনি এজন্য একটি কোম্পানি গঠন করেছেন, যারা এ ধরণের কাজে সহায়তা করবে। আরো পড়ুন: কবর বা দাহ নয়, মৃতদেহ 'গলিয়ে' সৎকার যে গ্রামে মৃতদের খাবার না দিয়ে কেউ খায় না মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা বজ্রপাতে নিহতদের মৃতদেহ ঘিরে কী রহস্য পরিবেশ বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করবে? মিজ স্পাড বলছেন, ছয়টি কোণ বিশিষ্ট একটি ইস্পাতের বাক্সের ভেতর এক ধরণের উদ্ভিদ-যা প্রাণী দেহ কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে, কাঠের টুকরো আর খড়কুটো দিয়ে মৃতদেহ রাখা হবে। এরপর সেই বাক্সটি বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই মৃতদেহ পচে যাবে এবং মাটিতে পরিণত হবে। পরিবেশ-বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ মাসের প্রথমদিকে জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেতা লুক পেরিকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি 'মাশরুম স্যুইটে' সমাধিত করা হয়েছে। ওই স্যুইটের নির্মাতা জে রাইম লি বলেছেন, যখন কোন মৃতদেহ মাটিতে সমাধি দেয়া হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তখন যে বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে মেশে, এই প্রক্রিয়ার ফলে সেটি কমে যাবে। মানব মৃতদেহকে সারে পরিণত করার প্রক্রিয়াটি এরমধ্যেই সুইডেনে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। কোন বাক্স বা কফিন ছাড়া মৃতদেহ সমাধির প্রাকৃতিক সমাধি প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যে আইনগত বৈধতা পেয়েছে। অনেক ধর্মে অবশ্য মৃত্যুর পর কোনরকম বাক্স বা কৃত্রিম সরঞ্জাম ছাড়া মৃতদেহ সমাধি করার নিয়ম রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাশ্মীরে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বেসামরিক মানুষ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সমস্যার সমাধান সৌম্য সরকার? পাকিস্তানে শত শত শিশু কেন এইচআইভিতে আক্রান্ত? নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক
মানুষের মৃতদেহ থেকে জৈব সার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকান রাজ্য ওয়াশিংটন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ফরহাদ মজহার তাকে নিয়ে আলোচনা যেমন আছে তেমনি বিতর্কও কম নয়। তার ভক্ত যেমন আছে তেমনি সমালোচকও অনেক। নোয়াখালিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফরহাদ মজহার পড়াশুনা করেছেন ফার্মেসি এবং কেমিস্ট্রিতে। পড়াশুনা করতে সত্তরের দশকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সিরাজ শিকদারের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তখন লেখক-শিল্পীদের নিয়ে গঠিত হয় 'লেখক সংগ্রাম শিবির' নামে একটি সংগঠনও গড়ে উঠে। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০'র দশক পর্যন্ত ফরহাদ মজহার একজন মার্কসবাদী এবং 'কড়া বামপন্থী' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একসময় মার্ক্সবাদী হিসেবে পরিচিতি থাকলেও সমালোচকরা বলেন 'কড়া ইসলামপন্থার' দিকেও তাঁর ঝোঁক রয়েছে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে ফরহাদ মজহার বলেছিলেন, তিনি সমালোচকদের পছন্দ করেন। "আমি খুব এনজয় করি। আমি উপভোগ করি। আমাকে যারা নিন্দা করেন, গালি দেন আমি তাদের উপভোগ করি। কারণ এর মাধ্যমে সমাজটা কোথায় আছে এবং তার চিন্তার স্তর কোথায় আছে সেটা আমি ধরতে পারি," বলছিলেন ফরহাদ মজহার। কিন্তু মি: মজহার নিজেকে এখনো 'কড়া মার্ক্সবাদী' হিসেবে দাবি করেন। মি: মজহার বলেন, "ইসলাম এবং মার্কস সম্পর্কে যাদের ধারণা দুর্বল তারাই এ কথাগুলো বলেন।.... মার্কসের দিক থেকে এমন কোন অবস্থান নেই যে আপনি ধর্ম বিরোধী বা মার্কস নাস্তিক- এগুলো খুবই প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা।" কিন্তু ফরহাদ মজহারের রাজনৈতিক দর্শন কী? তিনি কি ডানপন্থী? নাকি বামপন্থী? তিনি মনে করেন, তাকে কোন ছকে বাঁধার চিন্তাটা ঠিক নয়। "আমি শ্রেণী রাজনীতি করি। আবার কেউ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করে। হঠাৎ করে সে যদি দেখে আমি তার জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করছি, তখন সে থতমত খেয়ে যায়। আপনি নিপীড়িত শ্রেণির পক্ষে কী-না সেটাই হচ্ছে মূলত প্রশ্ন। " মি: মজহারের চরিত্রের একটি ব্যতিক্রমী দিক আছে। কোন বিষয় নিয়ে যখন একটা জনমত গড়ে উঠে তখন সে বিষয়ে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ২০১৩ সালে শাহবাগে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলন। শাহবাগ আন্দোলনের কড়া সমালোচক ছিলেন মি: মজহার। কেন তার এই অবস্থান? মি: মজহারের উত্তর ছিল, "আমি তো পপুলিস্ট না। পপুলিজমের কঠোর সমালোচনা করেছেন লেলিন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি যাদের সমালোচনা করছেন, সেটা সঠিক সমালোচনা কী-না।" "শাহবাগে যারা নিজেদের তরুণ প্রজন্ম বলছে তারাতো মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। যারা কারখানায় কাজ করে, যারা গ্রামে কাজ করে, যারা বিদেশে শ্রমিক আকারে কাজ করে- এ বিশাল তরুণদের অস্বীকার করার ধারণাটাই নিহিত রয়েছে প্রজন্ম ধারণাটার মধ্যে। ফলে আমাকে এর সমালোচনা করতেই হয়েছে।" ফরহাদ মজহারের সমালোচকরা মনে করেন, তিনি শাহবাগ আন্দোলনকে এমনভাবে সমালোচনা করেছেন যার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়া। মি: মজহার অবশ্য এ ধরনের যুক্তি মানতে নারাজ। "আমরাতো বারবারই বলেছি যুদ্ধাপরাধের বিষয়টা আমাদের বাংলাদেশের একটা ক্ষত। এ বিচারটা আমাদের সম্পন্ন করতে হবে। তারা যে ফাঁসি-ফাঁসি কথাটা বললেন, তারা বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং ইনসাফের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।" মি: মজহার মনে করেন, কোন মানবাধিকার কর্মী ফাঁসির দাবি সমর্থন করতে পারে না। আরো পড়ুন: ফরহাদ মজহারকে ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে যশোর থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার 'আমি তাঁকে জীবিত, অক্ষত ফেরত পেতে চাই'
আমাকে যারা নিন্দা করেন, আমি তাদের উপভোগ করি: ফরহাদ মজহার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত এই কোভিশিল্ড টিকার ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এসেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একটি সংগঠন এই টিকা নিতে সরকারের সাথে আলোচনা করছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও সরকার এই টিকা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছে বিক্রি করবে নাকি বিনামূল্যে দেবে, দিলেও সেটা কি পরিমাণে দেবে, বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে হলে কতো খরচ পড়বে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। গত রোববার থেকে বাংলাদেশের সব জেলা উপজেলার এক হাজারের বেশি কেন্দ্র থেকে একযোগে শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম দিনেই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং পরবর্তীতে বিদেশি কূটনীতিকরা টিকা নেয়ায় দিন দিন মানুষের মধ্যে টিকা দেয়ার আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দিন ৩১ হাজার টিকা দিলেও পরের ছয় দিনে ৭ লাখের বেশি মানুষ টিকা দিয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। গতকাল বেশ কয়েকটি হাসপাতালে সময়ের আগেই টিকার কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেককে টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। টিকার এমন চাহিদার মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই টিকা মানসম্মত বেসরকারি হাসপাতালকে ব্যবহারের অনুমোদন দেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান। "আমরা হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে দেখবো, যদি দরকার হয়, সেক্ষেত্রে আমরা বুথের সংখ্যা বাড়াবো, জনবল বাড়াবো। আর প্রাইভেট হাসপাতালকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত যদি হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।" আরও পড়তে পারেন: ভ্যাকসিনেই কি করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিলবে? যেভাবে কাজ করবে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস টিকার অ্যাপ বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের ভ্যাক্সিন কূটনীতি শুরু, বাদ শুধু পাকিস্তান ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম শুরু। তিনি জানান, বাংলাদেশের সরকারের লক্ষ্য দেশের মানুষকে এই টিকা বিনামূল্যে দেয়া। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে যদি টিকা দেয়া হয় তারা যেন সাধারণ মানুষকে কোনভাবে হয়রানির করতে না পারে সে বিষয়েও সরকার নজরদারি করবে বলে মি. মান্নান জানান। বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছ থেকে যে টিকা কিনেছে সেখান থেকে ১০ লাখ টিকা বিক্রির জন্য চেয়েছে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। গত বুধবার কোভিড-১৯ এর টিকা কার্যক্রমে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি মুবিন খান জানিয়েছেন সরকার এই টিকা তাদেরকে বিনামূল্যে সরবরাহ করলে তারা শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জ রাখবেন। আবার সরকার যদি এই টিকা বিক্রি করে তাহলে বেসরকারিভাবে টিকার মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দেবে, যেন কোন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। তবে সরকার তাদেরকে কি পরিমাণ টিকা দিতে পারে, কোন হাসপাতালগুলো এই অনুমোদন পাবে, এজন্য সাধারণ মানুষকে কতো খরচ করতে হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই কার্যক্রমে বেসরকারি হাসপাতাল যুক্ত হলে টিকার চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মি. খান। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালও করোনাভাইরাস ইউনিট খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম চালায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জিয়ার 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের লাভ লোকসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্বেগ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ নেলসন ম্যান্ডেলা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া: জালিয়াতির অভিযোগে দ.আফ্রিকায় গ্রেফতার ১৫ কোরান তেলাওয়াতের ‘অপূর্ব এক কণ্ঠ’ নূরীন মোহামেদ সিদ্দিগ কোভিশিল্ড টিকা। এছাড়া করোনাভাইরাসের আরটি পিসিআর পরীক্ষাতেও তারা অংশ নিয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার আগ্রহ যেহেতু বাড়ছে তাই তারা এই কর্মসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। মুবিন খান জানান, মানুষ এখন যেভাবে ভিড় করে টিকা দিতে যাচ্ছে সেটা সামাল দিতে বেসরকারি হাসপাতালকেও যুক্ত করা প্রয়োজন। এতে করে যারা সচ্ছল ও সামর্থ্যবান তারা বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে পারবেন, আবার যারা সরকারি হাসপাতালে ফ্রি-তে টিকা নিতে চান, সেই সুযোগও থাকছে। এছাড়া প্রথম চালানে যে টিকা এসেছে এর একটি লটের মেয়াদ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এবং আরেকটি লটের মেয়াদ জুন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ১০ লাখ টিকা দেয়া হলে মেয়াদের মধ্যেই সব টিকা দেয়া সম্ভব হবে, কোন টিকা অপচয় হবে না। তবে বেসরকারি হাসপাতাল টিকা বিক্রির অনুমোদন পেলেও সেটা শুধু তারাই পাবেন যাদের কথা সরকারি নীতিমালায় বলা আছে। অর্থাৎ সরকারি নীতিমালায় বলা হয়েছে শুধুমাত্র ফ্রন্টলাইনার এবং যাদের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে তাদেরকে এই টিকা দেয়া হবে। বেসরকারি হাসপাতালেও এই নিয়মের ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান মি. খান। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে, জুন মাসের মধ্যে মোট ৩ কোটি ডোজ পাওয়ার কথা। সরকারের কেনা এই টিকা থেকেই ১০ লাখ টিকা চাইছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এর আগে, বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রির জন্য সিরাম ইন্সটিটিউট থেকেই আরও কয়েক লাখ ডোজ টিকা আনার কথা জানিয়েছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তবে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা জানিয়েছেন, তারা এখন সরকারের টিকাদান কার্যক্রমের বাইরে আর কিছু আপাতত ভাবছেন না।
করোনা ভাইরাস-এর টিকা বেসরকারি হাসপাতালে দেয়ার ব্যাপারে যা বলছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসচিব
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ঢাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো অ্যাপভিত্তিক মোটর সাইকেল রাইড সেবা নিরাপত্তারক্ষীর চাকরী করা অবস্থাতেই তিনি বুঝতে পারেন, ঢাকায় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন বেশ লাভজনক। তখন তিনি কাজের ফাঁকে-ফাঁকে মোটরসাইকেল চালানো শিখে নেন। এরপর নিজের কিছু জমানো টাকা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে একটি মোটর সাইকেল ক্রয় করেন। গত এক বছর যাবত এই মোটর সাইকেল চালিয়ে তিনি সংসারের ব্যয় নির্বাহ করছেন। মোহাম্মদ আলীর দাবি, শুরুর দিকে তাঁর প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হলেও গত কয়েকমাসে অর্ধেকে নেমে এসেছে। মো: আলী এখন চেষ্টা করেন অ্যাপ এড়িয়ে কিভাবে চুক্তি-ভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করা যায়। ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডে দাঁড়িয়ে যাত্রী খুঁজতে দেখা গেল মোহাম্মদ আলীকে। তিনি বলেন, অ্যাপের প্রতি তাঁর অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে দুটো কারণে। প্রথমত, সারাদিনে তিনি যা উপার্জন করেন তার ২০ শতাংশ দিয়ে দিতে হয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে। যদি তিনি অ্যাপ ব্যবহার না করেন তাহলে সে টাকা তাঁর পকেটেই থাকবে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ঢাকায় এখন প্রচুর মোটরসাইকেল হওয়ায় আগের চেয়ে অ্যাপ এর মাধ্যমে কল আসে কম। ফলে অগত্যা রাস্তায় যাত্রী খুঁজে নিতে হচ্ছে। "আজ সকালে আটটার সময় শুরু করছি। এখন বাজে সাড়ে এগারোটা। মাত্র ১২০ টাকার একটা কাস্টমার পাইছি। অ্যাপে কল আসেনা," বলছিলেন মোহাম্মদ আলী। ঢাকার রাস্তায় মোহাম্মদ আলীর মতো অনেক মোটরসাইকেল চালক আছেন যারা এখন অ্যাপ এড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, "কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে যে ২০ পার্সেন্ট কেটে নিচ্ছে এটা একটু বেশি হয়ে যায়। এটা ১০ পার্সেন্ট হলে মোটামুটি চলে। দেখা যায় আমরা যা কামাই বেশিরভাগ ওদের দিতে হয়।" ঢাকায় মোটর সাইকেল কেন জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠলো? উবার, পাঠাওসহ রাইড সেবা: যা জানা জরুরি উবার-নির্ভর হয়ে উঠছে ঢাকা শহর মোটর সাইকেল হয়ে উঠছে অনেকেরই আয়ের উৎস বাড়ছে যাত্রী হয়রানি অ্যাপ-ভিত্তিক মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিনকে দিন বাড়ছেই। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন আসিয়া আলম দিনা। অফিসে যাতায়াতের জন্য মোটর সাইকেল এখন তাঁর নিত্য সঙ্গী। কিন্তু অ্যাপের মাধ্যমে মোটর সাইকেল এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন মিজ দিনা। "সৈনিক ক্লাব থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত ওরা ভাড়া চায় ১০০ টাকা। দেখা যাচ্ছে, যদি ডিসকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি ৪০-৫০ টাকায় চলে যেতে পারেন। অ্যাপ ইউজ করলে কেউ অ্যাকসেপ্ট করতে চায়না," বলছিলেন মিজ দিনা। যাত্রীদের অভিযোগ হচ্ছে, মোটরসাইকেল চালকরা এখন রিকশাচালক কিংবা সিএনজি-চালিত স্কুটার চালকদের মতো আচরণ করছে। রীতিমতো দরদাম করে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে তাদের। আরেকজন যাত্রী ফারিহা রহমান বলেন, "রাইড শেয়ারিং যে কনসেপ্ট থেকে শুরু হয়েছিল, এখন মনে হয়না সেটা চলছে।" তিনি বলেন, অ্যাপ-এর মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন হলে সেটি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কারণ, সেখানে ড্রাইভারের নাম, ছবি এবং মোটরসাইকেল নম্বর থাকে। এ বিষয়টি যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ তৈরি করে। ফারিহা আলম বলেন, "যদি অ্যাপ-এর মাধ্যমে যান তাহলে ওটা ট্র্যাক করে। পরবর্তীতে কোন অঘটন ঘটলে স্টেপ নিতে পারবেন"। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী হুসেইন এম ইলিয়াস বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত আছেন। যেসব মোটরসাইকেল চালকদের বিভিন্ন সময় বাদ দেয়া হয়েছে তারা এ কাজ বেশি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অ্যাপ ব্যবহারে অনাগ্রহ বাড়ছে মোটরসাইকেল চালকদের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধি দল ভাসানচর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের দুইজন কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধি দল সোমবার নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিলেন। তারা সেখানে পৌঁছানোর পরপরই রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করে। পরে এক পর্যায়ে কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। ভাসানচরে কি ঘটেছে? আজ বেলা ১১ টার দিকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন দুইজন কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধি দলটি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে সেখানে গিয়েছিলেন। দলটিতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কর্মকর্তারা ছিলেন। এই প্রথমবার ইউএনএইচসিআর-এর কোনও প্রতিনিধি দল ভাসানচরে গেছেন। নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার আলমগির হোসেন জানিয়েছে যে দলটিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নামার পরে সেখানে রোহিঙ্গাদের একটি দল মিছিল করে হেলিকপ্টারটির দিকে এগোতে শুরু করে। সেসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তখন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ভাসানচরে ওয়্যারহাউজ নামে একটি ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল দিয়ে ভবনটির কিছু জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। সে সময় পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। গত ডিসেম্বর মাস থেকে ১৯ হাজারের মত রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যা বলছেন ভাসানচরে বাস করছেন এরকম কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানিয়েছেন যে, জাতিসংঘের যে প্রতিনিধি দলটি ভাসানচরে গিয়েছিলেন, তাদের সাথে রোহিঙ্গারা কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাসানচরে অবস্থানরত প্রায় ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে ''ফোকাল পয়েন্ট'' হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাদেরকেই কথা বলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অনেকেই যে আর থাকতে চান না, সেখানে তাদের নানাবিধ অসুবিধার পুরো চিত্র ফোকাল পয়েন্টের সদস্যরা তুলে ধরেন না কারণ তারা নিয়োগপ্রাপ্ত। এই কারণে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে তাদের আসল অবস্থা কী, সেই বার্তা পৌঁছবে না এমন আশঙ্কা থেকে তারা চেয়েছিলেন শুধু ফোকাল পয়েন্ট নয় অন্যদেরও কথা বলতে দেয়া হোক। সম্পর্কিত খবর: রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে? ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে বরবাদ হয়ে যাচ্ছে’ রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহবান বাংলাদেশের কথা বলার সুযোগ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। একটি অংশ ভাঙচুর করার পর ওখানে অবস্থানরত বাকি রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও পুলিশ সুপার আলমগির হোসেন জানিয়েছেন যে পরে জাতিসংঘের দলটি রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন। বিক্ষোভের কারণে একটু দেরিতে তারা কাজ শুরু করেন। এখন ভাসানচরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজার ক্যাম্পে ফিরে যেতে চান। কেন রোহিঙ্গারা ভাসানচরে থাকতে চান না গত ডিসেম্বর মাস থেকে কয়েক দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে স্থানান্তর করা হয়। তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি তাদের দেয়া হয়েছিল সেগুলো সব পূরণ করা হয়নি। তাদের মাসিক ভাতা, প্রতিটি পরিবারকে গরু দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল যা সবাইকে দেয়া হয়নি বলে রোহিঙ্গারা দাবি করছেন। সেখানে শিশুদের পড়াশুনার জন্য কোন স্কুল তৈরি করা হয়নি। তাদের প্রতিমাসের খাওয়ার যে রসদ দেয়া হয় তা ন্যূনতম কিছু সামগ্রী বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা। তাদের কক্সবাজারে আত্মীয়স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করতে দেয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল বলে রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন। কিন্তু শুধু চরেই তাদের অবস্থান করতে হয়। এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মধ্যেই। ইতোমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। খুব নিচু চরটিতে প্রায়শই পানি প্রবেশ করে, যা ঠেকানোর জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তার একটি ভেঙে গেছে বলেও জানা গেছে। এখন রোহিঙ্গারা আশংকা করছেন যে সামনে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হলে, কোনও সাইক্লোন তৈরি হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে। এসব আশঙ্কা এবং সুযোগ সুবিধার অভাবে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে ফিরে যেতে চান। ইতোমধ্যেই ভাসানচর থেকে কিছু রোহিঙ্গার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে আবাসন প্রকল্পটির পরিচালক এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিলে। তবে কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কেন মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিয়ে করতে এতোটা আগ্রহী বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নারীরা?
রোহিঙ্গা: ভাসানচরে হঠাৎ কেন তাদের বিক্ষোভ?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আজ সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটি নির্মাণ হলে সেটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। এর বেশিরভাগ অর্থ আসছে জাপানি ঋণে। আন্তর্জাতিক সংযোগের পরিকল্পনা আজ এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় তিনি বলেছেন, "আজকে একটা আলাদা (রেল) সেতু হয়ে যাচ্ছে যাতে আমি মনে করি আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ আর্থ সামাজিক উন্নতি তো হবেই, এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবেও আমরা আরও সংযুক্ত হতে পারবো।" বাংলাদেশ ট্র্যান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে চায়। এই সেতুটি ভবিষ্যতে সেই সংযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বক্তৃতায় সেই ধারনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সেতুটিতে দুটি রেল লাইন বসবে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা, স্থাপনাগুলোর কাঠামো ও নানা যন্ত্রাংশ দিচ্ছে যে দেশগুলো, জাপান তার মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রী এক পর্যায়ে তার বক্তৃতায় বলেছেন, "জাপানের মত বন্ধু যাদের সাথে আছে তাদের আর চিন্তার কিছু নেই।" রেল সেতুটির বৈশিষ্ট্য কি? এই প্রকল্পের পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল আহসান। তিনি জানিয়েছেন যমুনা নদীর উপরে যে বঙ্গবন্ধু সেতু রয়েছে, সেই সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এটি নির্মিত হচ্ছে, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তার উপর দিয়ে বর্তমানে ৩৮ টি ট্রেন চলাচল করে। রেল সেতুটি নির্মাণ হয়ে গেলে ৮৮ টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সেসময় নতুন রুট চালু করা হবে। বর্তমানে যে রেল সেতুগুলো রয়েছে তাতে একটি করে লাইন রয়েছে। এই সেতুটিতে দুটি রেল লাইন বসবে। যার ফলে কোন ট্রেনকে সেতু পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। একসঙ্গে দুটো ট্রেন দুদিকে চলে যেতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এই সেতুটির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত হতে পারবে। যমুনা সেতু সত্ত্বেও যে কারণে এটি বানানো হচ্ছে মি. আহসান জানিয়েছেন যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তা পার হতে দুইপাশে অপেক্ষা ছাড়াও সড়ক সেতু হওয়ায় ওজন ও গতির বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে। অন্য রেল সেতুগুলোর ক্ষেত্রে গতি আরও কম। এই সেতুটিতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়েতে কেন ১৪ হাজার পদ খালি? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন লেভেল ক্রসিং-এর মরণফাঁদ বন্ধ হয় না কেন? এটির উপর দিয়ে যেকোনো ওজনের মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলতে পারবে। এই ব্রিজটির উপর দিয়ে একাধিক লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। সাধারণত মালবাহী ট্রেনগুলোকে প্রায়ই দুটি ইঞ্জিন দিয়ে টানতে হয়। বর্তমান ব্রিজের উপর দিয়ে সেটি সম্ভব হয় না। ইঞ্জিন মেরামত করার জন্য সেটিকে অন্য আরেকটি ইঞ্জিন দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও বঙ্গবন্ধু সেতুতে নেই। যে কারণে পার্বতীপুরের কারখানায় মেরামতের জন্য ইঞ্জিন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এই সেতুতে সেটি সম্ভব হবে। যমুনা সেতুর উপরে রেল চলাচলে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেসব উপকরণ ব্যবহার হবে সেতুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে মিস্টার আহসান বলেছেন, এই সেতুটি তৈরিতে যেসব উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হবে সেটি এখনকার রেল সেতুগুলো থেকে আলাদা। "এটি ওয়েদারিং স্টিল দিয়ে তৈরি হবে। আমাদের এখনকার যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো দুই তিন বছর পরপর রঙ করতে হয়। এটা আমাদের কখনোই রঙ করতে হবে না। এই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রায় শূন্য।" "এই সেতুটির ফাউন্ডেশনে জাপানের একটি প্রযুক্তি ব্যাবহার হবে। যে প্রযুক্তি জাপানের বাইরে খুব কম ব্যবহৃত হয়। রেল লাইনগুলো চাকার ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাওয়া কমাতে বিশেষ উপকরণ ব্যবহার করা হবে। তাই লাইনগুলো কম পরিবর্তন হবে। বছর তিরিশও চলে যেতে পারে।" ব্রিজের সংযোগস্থলে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তাতে ব্রিজটির নিজের ওজন কম হবে। এখন যমুনা সেতুর উপর দিয়ে ৩৮ টি ট্রেন চলাচল করে। খরচ ও চালু হওয়ার সম্ভাব্য সময় ব্রিজটি তৈরি করার জন্য জাপানের দুটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করা হয়েছে। যারা আগস্ট মাসেই প্রাথমিক কিছু কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মি. আহসান। তিনি জানিয়েছেন ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এর কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি পাশ হয়েছিল কিন্তু তার কাজ শুরু হতে চার বছরের মতো সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে যে খরচ ধরা হয়েছিল সেটিও বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ব্রিজটির জন্য ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যার মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন বা জাইকার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাবে বাংলাদেশ। বাকি অর্থ বাংলাদেশ দেবে। ব্রিজটি নির্মাণে জাইকার সাথে দুটি ঋণ চুক্তি হয়েছে। যার একটি ১ শতাংশ সুদে আর অন্যটি ০.৬ শতাংশ নেয়া হয়েছে। অন্যান্য খবর: ভারতে হাজার হাজার কৃষকের আন্দোলনে কার্যত অবরুদ্ধ রাজধানী দিল্লি ফখরিযাদে হত্যাকাণ্ড: ইরান কেন এক্ষুণি প্রতিশোধ নেবার কথা বলছে না? যেভাবে একই সাথে চাষ করবেন মাছ ও মুরগি
যমুনার উপর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু যেমন হবে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়েছে প্লগিং দৌড়ানো বা জগিং করার সময় স্বেচ্ছায় পরিবেশের আবর্জনা জড়ো করার এই ধারণাকেই বলা হচ্ছে প্লগিং। স্টকহোমের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫ জন কর্মকর্তা শহরের পথেঘাটে জগিং করার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন। শুধু জগিং নয়, তারা একসাথে প্লগিং করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দলবেঁধে প্লগিং করার এই চলটা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সম্প্রতি। জগিংয়ের পোশাকের সাথে একটি ব্যাগও বহন করবেন তারা যেন দৌড়ানোর সময় রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা তুলে ব্যগে নিতে পারেন। প্লগিংয়ের উদ্ভাবন সুইডেনে হলেও এটি বর্তমানে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ধারণাটির উদ্ভাবক আলেক্সান্ডার আলস্ট্রং বলছিলেন কীভাবে তিনি প্লগিং শুরু করলেন। যুক্তরাজ্যে ফয়েল নদীর তীরে পরিবারের সদস্য ও এলাকার মানুষদের সাথে প্লগিং আরো পড়তে পারেন: জিহাদি বাবা-মায়ের সন্তানদের নিয়ে কি করবে ফ্রান্স? কানাডার দূত বহিষ্কার, কেন এত ক্ষেপেছে সৌদি আরব নর্থ সাউথ ও ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা "ফিনল্যান্ডের একটি স্কি রিসোর্টে থাকার সময় আমি প্রথম সেখানকার রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা শুরু করি। তখন হেঁটে হেঁটেই ময়লা কুড়াতাম।" এর কিছুদিন পর স্টকহোম এসে তিনি দেখেন যে সেখানেও রাস্তাঘাটে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে যা কেউ পরিষ্কার করে না। তখন নিজের শহর পরিষ্কার করার লক্ষ্যে একদিন নিজেই রাস্তা থেকে আবর্জনা তুলতে শুরু করেন তিনি। মি. আলস্ট্রঙ বলেন, "একদিন জগিংয়ের সময় আমি একাই রাস্তায় ময়লা কুড়ানো শুরু করি। কয়েকদিনের মধ্যেই মানুষজন বিষয়টি লক্ষ্য করে ও উৎসাহী হয়ে ওঠে।" প্লগিংয়ের ধারণাটি জনপ্রিয়তা পায় খুবই দ্রুত। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে প্লগিং গ্রুপ রয়েছে যারা জগিংয়ের সময় পথঘাটের আবর্জনা পরিষ্কার করেন। স্বাস্থ্যসচেতনদের মতে, এটি ব্যায়াম হিসেবেও ভাল কারণ এখানে একঘেয়েমির সুযোগ নেই। সুইডেনের একজন পরিবেশবিদ এরিক হুস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো পরিবেশবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর তিনি যেখানেই যান, সেখানকার চারপাশ থেকে আবর্জনা তুলে পরিষ্কার করা শুরু করে দেন। যুক্তরাজ্যে দল বেঁধে প্লগিং করছে শিশুরা তিনি যেখানে যান সেখানেই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা শুরু করেন। মানুষজন যদিও তার দিকে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তবে তিনি সেগুলো পাত্তা দেন না। মি.হুস বলেন, পথেঘাটে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকার সমস্যাটা যতটা ছোট মনে হয় আসলে বিষয়টি ততটা ছোট নয়। গবেষণা অনুযায়ী সমুদ্রের তলদেশের ৮৫ ভাগ আবর্জনাই ভূপৃষ্ঠ থেকে তৈরি হয় আর এই আবর্জনার সিংহভাগই প্লাস্টিক। এর মধ্যে অতি ক্ষুদ্র আকারের মাইক্রোপ্লাস্টিক সামুদ্রিক প্রাণীদের মাধ্যমে অনেক সময় আমাদের দেহে ফেরত আসে এবং বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তাই মি.হুসের মতে এই আবর্জনা সমুদ্রে পৌঁছোতে দেয়ার আগেই পরিষ্কার করলে তা বেশি কার্যকর হবে। প্লগিংয়ের আবিষ্কারক মি. আলস্ট্রংয়ের মতে, "সভ্য সমাজে আবর্জনার কোনো জায়গা নেই। আর সভ্য সমাজের সদস্য হিসেবে, আমাদের তৈরি করা জঞ্জাল পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদেরই।"
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ক্রমশ জনপ্রিয় হওয়া প্লগিং আসলে কী?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
জুরিদের রায় ঘোষণার সময় নিউইয়র্কের আদালতে ছিলেন কেইথ রনিয়্যারি প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রমের পরে ৫৮ বছরের রনিয়্যারিকে দোষী বলে রায় দেন নিউইয়র্কের আদালতের জুরিরা। তিনি তার 'নেক্সিয়াম' গোষ্ঠীর মধ্যে পিরামিড আদলে যৌনতার জন্য 'দাসী এবং প্রভু' জাতীয় একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে আছে দলবাজি করে অপরাধ করা, যৌনতার জন্য মানব পাচার আর শিশু পর্নগ্রাফি। যদিও এসব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন মি. রনিয়্যারি, তবে অপরাধের কারণে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, রনিয়্যারি নিজেকে 'বিশ্বের সবচেয়ে চালাক,' ব্যক্তি হিসাবে দাবি করতেন, যিনি নিজেকে আইনস্টাইন এবং গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করতেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, তিনি নারীদের মগজ ধোলাই করে দাস হিসাবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতেন এবং তার সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করতেন। এদের মধ্যে হলিউডের নায়িকা এবং মেক্সিকোর সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের কন্যাও রয়েছে- যারা রনিয়্যারির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে রনিয়্যারির সাজা ঘোষণা করা হবে। এসব অপরাধে তার যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা হতে পারে। আরো পড়ুন: ভারতীয় সেক্স গুরুর দেহরক্ষী ছিলেন যে স্কটিশ ভারতে হত্যার দায়ে গুরু রাম রহিম সিংএর যাবজ্জীবন কে এই 'রকস্টার বাবা' গুরু রাম রহিম সিং? মামলার অসংখ্য নথিপত্র নিয়ে যাচ্ছেন কৌসুলি দলের সদস্যরা আদালতে যা জানা গেছে নেক্সিয়ামের ট্যাগ লাইনে বলা হয়েছে, রনিয়্যারি এবং তার অনুসারীরা 'একটি উন্নত পৃথিবী' গড়ার জন্য কাজ করতেন। তবে মামলার সাক্ষীরা আদালতে এই ব্যক্তির আলাদা এক চেহারা তুলে ধরেছেন। আদালতে তুলে ধরা হয়, নেক্সিয়ামের ভেতর 'ডস' নামের আলাদা ও গোপন একটি সমাজ তৈরি করেছিলেন রনিয়্যারি। কৌসুলিদের অভিযোগ, ডসের 'গ্র্যান্ডমাস্টার' হিসাবে তিনি নারীদের শোষণ ও ব্লাকমেইল করতেন, যাদের মধ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীও ছিল। এফবিআই বলছে, নিয়োগের সময় এই নারীদের বলা হতো, এটি পুরোপুরি মেয়েদের একটি সংগঠন। এভাবে তাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করা হতো। তবে মি. রনিয়্যারির আইনজীবীরা বলছেন, সব যৌনতার ঘটনাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। আদালতে শুনানির চিত্র নেক্সিয়াম সম্পর্কে কী জানা যায় আলব্যানি ভিত্তিক এই গ্রুপটি নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে লিখেছে, ' মানবিক নীতিমালায় পরিচালিত একটি কম্যুনিটি, যারা মানুষকে ক্ষমতাবান করতে চায়।' ১৬ হাজারের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে তারা কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় তাদের কর্মকাণ্ড রয়েছে। ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের আলব্যানিতে প্রথম গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত উন্নয়ন কোম্পানি হিসাবে এর যাত্রা শুরু। এই গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অনেক নারী ও হলিউডের অভিনেত্রীও। তবে তদন্তকারীরা বলছে, আসলে মেনটরিং গ্রুপের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও আসলে যৌন পাচারকারীদের একটি সংগঠন, যেখানে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি আর সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটানো হতো। কুমারিত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে তোলা এই গোষ্ঠীর সাবেক একজন সদস্য, যাকে আইনজীবীরা ড্যানিয়েলা বলে বর্ণনা করেছেন, তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তার ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে, রনিয়্যারি তার কুমারিত্ব নিতে পারে। ১৮ বছর হওয়ার পরে রনিয়্যারি তাকে বলেন, ''এখন সময় হয়েছে।'' যৌন মিলন করার জন্য রনিয়্যারি তাকে অফিসের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে যান। ড্যানিয়েলার আরেকজন বোনও এই গোষ্ঠীর নেতার যৌন পর্নগ্রাফির শিকার হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদের দুই বোনকেই কাল্ট নেতা রনিয়্যারি গ্রুপ সেক্সে বাধ্য করতেন। ''আমরা পুরো সময়টা ধরে কাঁদতাম,'' আদালতে বলেছেন ড্যানিয়েলা। একপর্যায়ে তারা দুই বোনই গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তবে রনিয়্যারি তাদের গর্ভপাতে বাধ্য করেন। নেক্সিয়ামের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন স্মলভিলের অভিনেত্রী অ্যালিসন ম্যাক দুই বছর ধরে বেডরুমে আটকে রাখা লরা সলজম্যান নামের ৪২ বয়সী একজন নারী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, মোটা হয়ে যাওয়া আর আরেকজন পুরুষের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় ড্যানিয়েলাকে একটি বেডরুমে দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। ড্যানিয়েলাকে বলা হয়েছিল, তাকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে, যদি সে রনিয়্যারি আর মিজ সলজম্যানকে সন্তুষ্ট করতে না পারে। তখন একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও পুরো সময়টা জুড়ে পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে ড্যানিয়েলাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এই বন্দীদশা থেকে বাঁচতে তার পরিবার আমেরিকায় থাকলেও একপর্যায়ে মেক্সিকো ফেরত যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ড্যানিয়েলা। দাসী ও প্রভু আদালতে উপস্থাপিত তথ্যে জানা যাচ্ছে, নেক্সিয়ামের ভেতর 'ডস' বা 'ভোউ' নামের আরেকটি গোপন চক্র ছিল। সেখানে অনেকটা পিরামিডের আদলে 'দাসী' আর 'প্রভু' ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। এই চক্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিলেন রনিয়্যারি, পুরো গ্রুপের একমাত্র পুরুষ সদস্য। 'দাসী'দের দায়িত্ব ছিল তাদের নিজেদের জন্য আরো 'দাসীর' নিয়োগ করা, যারা সবাই আসলে রনিয়্যারির সেবায় কাজ করতো। এখানে যোগ দিতে হলে নারীদের এমন সব স্পর্শকাতর তথ্য দিতে হতো, যারা তারা প্রকাশ করতে চান না। যার মধ্যে রয়েছে, নিজের বা পরিবারের সদস্যদের গোপন ছবি বা ভিডিও। এই নারীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হতো, যাতে তারা শুকনো থাকতে পারেন। তাদের বাড়ির কাজ থেকে রনিয়্যারির যৌন চাহিদা মেটাতে নারীদের প্রস্তুত করার মতো কাজ করতে হতো। গ্রুপের সদস্য নারীদের তলপেটে এই চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো গুরুর চিহ্ন দিয়ে নারীদের ব্রান্ডিং করা অনেক সময় গ্রুপের নারীদের তলপেটের একটি অংশ পুড়িয়ে রনিয়্যারির নামাঙ্কিত চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো এবং সেগুলোর ভিডিও করা হতো। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, নেক্সিয়ামের সদস্যদের বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগ্ন করে এভাবে ব্রান্ডিং করে দেয়া হতো। আদালতে কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে চারটি অনুষঙ্গ থাকতো। বাতাস, মাটি আর পানি, পোড়ানোর কলমটি আগুন হিসাবে বিবেচনা করা হতো। তবে রনিয়্যারির আইনজীবী দাবি করেছেন, নারীরা স্বেচ্ছায় ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। পুনঃ প্রতিশ্রুতি অনুষ্ঠানের সময় গ্রেপ্তার মিজ সলজম্যান আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, যখন মেক্সিকো বাড়িতে রনিয়্যারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন রনিয়্যারির সঙ্গে তিনিসহ সাতজন শীর্ষ 'দাসী' মিলে পুনঃ প্রতিশ্রুতি অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। সেখানে তারা সবাই একত্রে রনিয়্যারির সঙ্গে যৌন মিলন করার মাধ্যমে গ্রুপ এবং রনিয়্যারির প্রতি তাদের আস্থা আর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার কথা ছিল। এই সাতজনের মধ্যে ছিলেন স্মলভিলের নায়িকা অ্যালিসন ম্যাকও। তবে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে এফবিআই এবং মেক্সিকোর এজেন্টরা সেখানে হানা দেয় এবং রনিয়্যারিকে গ্রেপ্তার করে।
নেক্সিয়াম সেক্স কাল্ট: যৌন গুরু রনিয়্যারির যত অপরাধ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
শিক্ষার্থী থাকার সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নিশাত পারভেজ নিশি সব মিলিয়েই একটা দুর্বিষহ সময় ছিল তার জন্য। "এই ব্যর্থতাটাকে আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সময়ই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিশি। একটি ভালবাসার সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও "আসলে সেভাবে সাপোর্ট" পাননি। "সব মিলিয়ে আমার উপর আসলে এতো বেশি চাপ সৃষ্টি করেছিল যেটার কারণে আমি আত্মহত্যা করতে উদ্বুদ্ধ হই।" আর আত্মহত্যার চেষ্টার মত ভয়াবহ একটি অভিজ্ঞতার পরও সেখান থেকে বের হয়ে এসে বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। এখন মিজ. নিশি মনে করেন, তার সেসময়ের আত্মহত্যার সিদ্ধান্তটি আসলে বোকামি ছিল। বাংলাদেশের সরকারি হিসাব বলছে, দেশে গড়ে প্রতি দিন প্রায় ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। বছর শেষে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১১ হাজারে। বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা আছে এমন লোকের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। তবে কোন ধরণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলে এক জন মানুষ প্রাণ নাশের মতো সিদ্ধান্ত নেন, সে নিয়ে রয়েছে নানা ধরণের মতামত ও অভিজ্ঞতা। কারণ আত্মহত্যার প্রবণতা এমন একটি সমস্যা যা মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। আরো পড়তে পারেন: শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা দূর করবেন কিভাবে? নিজ সন্তান হত্যা করেন যে মায়েরা আফগান নারীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? সরকারি হিসাব বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১১ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে 'কারো কাছ থেকে কোন পরামর্শ পাইনি' সাংবাদিকতার শিক্ষক মিজ. নিশি এখন স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতা থেকে কীভাবে বের হয়ে এলেন তা নিয়ে জানাচ্ছিলেন বিবিসি বাংলাকে। "আসলে নিজের চেষ্টাতেই বের হয়ে আসি।" এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোন ধরণের পরামর্শ পাননি বলেও জানান তিনি। এমনকি নিজের আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনাটি অনেক দিন পর্যন্ত অন্য সবার কাছ থেকে গোপন রেখেছিলেন তিনি। আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে নিজের অনেক অভ্যাস পরিবর্তন করেন তিনি। শুরু করেন বিভিন্ন ধরণের বই পড়তে। বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও নতুন করে মিশতে শুরু করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্র দেখাটাও এ বিষয়ে তাকে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, "আমার কাছে মনে হয়েছিলো আমি যেহেতু দ্বিতীয়বার আমার জীবনটাকে ফিরে পেয়েছি, তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রাকৃতিকভাবে আমার জীবন যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই জীবন যুদ্ধ অক্ষুণ্ণ রাখবো।" নিশাত পারভেজ নিশি বলেন, "আমার সেলফ মোটিভেশনই আমাকে সেই আত্মহত্যার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলো।" আত্মহত্যার প্রবণতা বিষয়ে সচেতনতা কেমন? বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার প্রবণতার বিষয়টি সামনে আসে না বলে মন্তব্য করেন মিজ. নিশি। তার মতে, বাংলাদেশে আত্মহত্যার সে সব ঘটনাই পত্র-পত্রিকা আর গণমাধ্যমে আসে যেগুলোতে আত্মহত্যার ঘটনা সফল হয়। "কিন্তু যেগুলো সফল হয় না বা অনেকেই রয়েছেন যাদের মধ্যে এ ধরণের প্রবণতা রয়েছে তাদের সংখ্যা বা হিসেবটা আড়ালেই রয়ে যায়।" আর এর জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেন তিনি। তিনি মনে করেন, নিজের আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি তিনি সবার সামনে উপস্থাপন করেছেন বিধায় তার কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে তার অনেক শিক্ষার্থী বা আশপাশের মানুষজন আসেন। কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই আসলে চাপা পড়ে যায়। মানসিক সেবার কতটা সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে? মিজ. নিশি বলেন, এ পর্যন্ত আত্মহত্যা প্রবণ অনেকের সাথে কথা বলেছেন তিনি। যাদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে আসলে এ বিষয়ে পরামর্শ বা চিকিৎসার সুযোগ খুবই অপ্রতুল। "এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ধরণের কাউন্সিলিংয়ের সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে।" এছাড়া মানসিক সেবার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হলেও, বাংলাদেশে প্রায় সবাইকে বিভিন্ন ধরণের মানসিক সমস্যায় একই ধরণের সেবা দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, "মানসিক সেবা দিতে যে কাউন্সিলর, সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্টরা কাজ করেন, তারা অনেকটা জেনারেলভাবে অর্থাৎ সবাইকে একই ধরণের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যেটা আসলে খুব বেশি সহায়ক হয় না।" মানসিক সমস্যা কি আগে থেকে শনাক্ত করা সম্ভব? মানসিক সমস্যা বেশ জটিল বিধায় অভিজ্ঞ না হলে এ ধরণের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন নিশাত পারভেজ নিশি। তিনি বলেন, মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এধরণের কাউকে বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গেলে হয়তো তিনি বুঝতে পারবেন। এছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। এছাড়া বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে, বাবা-মায়েরাও সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে তেমন সচেতন থাকে না বলে তিনি মনে করেন। "আমাদের বাবা-মায়েরা আসলে আমাদেরকে একটা প্রেশার কুকারের মধ্যে রাখেন। তাদের পছন্দের জীবন কাটাতে বাধ্য করেন," তিনি বলেন। তার মতে, বাবা-মায়েরা সন্তানের মনের অবস্থা সহজে বুঝতে পারে না বলে তরুণরা মূলত বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বলে থাকে। কিন্তু সেটাও আসলে ফলপ্রসূ হয় না। "আমাদের মানসিক সেবা বা মেন্টাল হেলথের প্রতি আমাদের দেশে আসলে কখনোই জোর দেয়া হয় না। এটা একটা বড় ধরণের সমস্যা," তিনি বলেন।
হতাশায় আত্মহত্যা প্রবণতা থেকে যেভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন এই নারী
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে আবু জায়েদ রাহী প্রাথমিকভাবে মূল প্রশ্ন ছিল, তাসকিন আহমেদ নাকি শফিউল ইসলাম? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা বেছে নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহীকে। তাসকিন আহমেদ মূলত ফিটনেসজনিত কারণে দলে সুযোগ পাননি। আবু জায়েদ রাহী ৫টি টেস্ট ম্যাচ, দুটি ওয়ানডে ম্যাচ ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এখন পর্যন্ত। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার আগে কখনো-কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি আবু জায়েদ রাহী। আরো পড়ুন: ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটন দাসের তারতম্য কতটা? ক্রিকেট বিশ্বকাপ: দলে মিরাজের প্রভাব কতটা? হ্যাপী বিতর্কের পর যেভাবে বদলেছে রুবেলের ক্যারিয়ার এখন পর্যন্ত ২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন রাহী আবু জায়েদ রাহী যে কারণে বিশ্বকাপ দলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৫ বছর বয়সী আবু জায়েদ রাহী ১০ ম্যাচে নেন ১২ উইকেট। চার বা পাঁচ উইকেট না পেলেও আবু জায়েদ রাহী নিয়মিত বিরতিতে উইকেট এনে দিতে সক্ষম ছিলেন এই টুর্নামেন্টে। তবে নির্বাচকদের ভাষ্যমতে নিউজিল্যান্ড সফরে রাহীর সুইং বোলিং সবাইকে অবাক করেছে। ইংল্যান্ডেও কন্ডিশন এক থাকায় এবং তাসকিন যথাযথ ফিটনেস প্রমাণ করতে না পারায় রাহী বিশ্বকাপ দলে সুযোপ পেয়েছেন। রাহীর অন্তর্ভূক্তি নিয়ে বিশ্লেষকদের মত কী? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, "এই দলে যারা খেলছে তাদের সবার ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা থাকবে, আবু জায়েদ রাহীকে একাদশে শুরুতে ভাবা নাও হতে পারে, কিন্তু আবহাওয়া যদি সুইং অনুকুলে থাকে সেক্ষেত্রে রাহীকে কাজে লাগানো যেতে পারে।" "তাসকিন ম্যাচফিট কি না সেটা আসলে দেখার সুযোগ হয়নি, এটা দু:খজনক বটে, তাসকিনের প্রতিভা ও গতি আছে, এই বিশ্বকাপে কাজে আসতে পারতো, কিন্তু তার প্রতি অন্যায় হয়নি।" "রাহীও সুযোগ পেলে ভালো করবে বলেই আমি মনে করি, কারণ সে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে যে পাঁচ উইকেট নিয়েছে সেটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এটা জরুরী নতুন কারো জন্য।" আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। আরো পড়ুন: সৈকত কি বাংলাদেশের ম্যাক্সওয়েল হতে পারবেন? সৌম্য কি বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সমস্যার সমাধান?
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: টেস্ট ক্রিকেটার থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড, আবু জায়েদের উত্থান
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষেরা বলছেন বাধ্য না হলে অনেকেই করোনা পরীক্ষা করছেন না। উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে যখন পরীক্ষা বেশি হওয়ার কথা তখন জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে পরীক্ষার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে যা নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চে প্রথম করোনা শনাক্তের মাসে দিনে গড়ে ৫০টিরও কম পরীক্ষা হয়েছে। এপ্রিল মাসে গড়ে প্রতিদিন পরীক্ষা হয়েছে ২,১০২টি, মে মাসে এ সংখ্যা বেড়ে ৭,৮৭৯টি এবং জুনে গড়ে দৈনিক ১৫,২৫১টি পরীক্ষা হয়েছে। জুন মাসে একদিনে সর্বোচ্চ সাড়ে আঠারো হাজার পরীক্ষারও করা হয়েছে। অথচ জুলাই মাসে পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে দৈনিক প্রায় এক হাজার। জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে গড়ে ১৪,২৮০টি নমুনা পরীক্ষা হলেও গত সপ্তাহে দেখা গেছে একদিনে নমুনা পরীক্ষা সর্বনিম্ন ১১ হাজারের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। জুলাই মাসে টেস্ট কমলেও সংক্রমণের হার প্রায় ২৫ শতাংশের কাছাকাছি উঠেছে। অর্থাৎ ইদানীং ৪-৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে একজনের দেহে ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন ছাড়া কেউ টেস্ট করছে না তাই সংক্রমণ হার বেশি - এরকম দাবি করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, যে শহর বা গ্রামে হাসপাতালে গিয়ে কিংবা বাড়িতে ডেকে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বিবিসিকে বলেছেন, "আগে যেমন এক জায়গায় নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে ৩০-৪০ জনেরও নমুনা নিয়ে আসা হতো পুরা বিল্ডিংয়ের। এখন আমাদের এমন কোন রিকোয়েস্টও নেই।" "বাসা থেকে আগে যা নমুনা সংগ্রহ হতো সেটাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। কারণ মানুষ নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ডাকছে না।" তবে নাসিমা সুলতানার দাবি, এখন প্রয়োজন ছাড়া কেউ টেস্ট করছে না তাই সংক্রমণ হার বেশি। "এখন যাদের প্রয়োজন তাদেরই পরীক্ষা হচ্ছে, তাই শনাক্তের হারটা বেশি। যাদের প্রয়োজন নাই তারা টেস্ট করছে না।" "আর এখন যেগুলো একেবারেই দরকার সেগুলোই টেস্ট হচ্ছে। আর আমরা সব বিভাগেই বিভাগীয় পরিচালকদের বলছি নমুনা সংগ্রহ কম হচ্ছে, আপনারা ড্রাইভ দেন। তারাও ড্রাইভ দিচ্ছে, বলছে যে লোক আসে না।" টেস্ট নিয়ে যত বিতর্ক বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে বিতর্ক লেগে আছে শুরু থেকেই। প্রথমে শুধু আইইডিসিআর পরীক্ষা করার নীতি আর কম টেস্ট করা নিয়ে যে বিতর্কের শুরু সেটি ধাপে ধাপে কিট সংকট, র‍্যাপিড টেস্ট, টেস্টের জন্য ফি ধার্য থেকে টেস্ট জালিয়াতি পর্যন্ত গড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, টেস্ট নিয়ে শুরু থেকেই ভুলনীতির চক্রে বাংলাদেশে আজ এ অবস্থা। "আমরা ভুলভাবে এগিয়েছি এটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো দরকার। একেবারে খোলনলচে পাল্টে ফেলা দরকার। আমরা সবসময় বলে আসছিলাম যে টেস্টগুলো ফ্রি করার। টেস্ট ফ্রি করলে যে সুবিধাটা হতো, এই অনিয়মগুলো হতো না।" "মানুষ বেশি টেস্ট করাতো যতবেশি করে টেস্ট করা যেত ততগুলো বেশি শনাক্ত হতো।" মি. আহমেদ বলেন, "অ্যান্টিজেন টেস্ট যদি চালু করা যেত এই ঘাটতিটা পূরণ করা যেত। সেই নীতিতে সমস্যা আছে। তারমানে বহুপাক্ষিক এবং বহুমাত্রিক সমস্যার ফলে আমাদের এই টেস্টটা কমে গেছে।" "যেটা আমাদের জন্য আসলে একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বা আত্মঘাতী কার্যক্রমের মতো হয়েছে।" করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভাইরাস আক্রান্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে আট নম্বরে এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে। ১৬ই জুলাই পর্যন্ত তথ্যে প্রতি মিলিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৭৫ জন। আর প্রতি মিলিয়নে টেস্ট হচ্ছে মাত্র ৬০২৯ জনের। বিশ্বে প্র্রতি মিলিয়ন মানুষের মধ্যে পরীক্ষার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৮-এ। দক্ষিণ এশিয়ায় ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৭ নম্বরে আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে পেছনে ৬ নম্বরে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত টেস্ট না হওয়ায় মহামারি পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণাও পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও তাই বেগ পেতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসরিন ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, "টেস্ট ছাড়া সংক্রমণ কমানো কোনভাবেই সম্ভব না। যতবেশি টেস্ট হবে তত বেশি ডিটেক্ট হবে ততবেশি আইসোলেশন হবে, কোয়ারেন্টিন হবে, এবং ততবেশি অপরকে সংক্রমিত করার সম্ভাবনা কমে যাবে।" "এখানেতো ট্রেস করা যাচ্ছে না যে কার থেকে কোথায় যাচ্ছে। টেস্ট না করলেতো আমি ট্রেসিং করতে পারছি না।" ভুক্তভোগীরা বলছেন করোনা পরীক্ষার পুরো ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ করা যায়নি। এখনো বিলম্বের অভিযোগ বাংলাদেশে এখন জটিল রোগ নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি, বিদেশ যাত্রা এবং অনেকক্ষেত্রে কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার সম্প্রতি করোনা পরীক্ষা করতে ২০০ টাকা এবং ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। ভুক্তভোগীদের কথায়, করোনা পরীক্ষার পুরো ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ করা যায়নি। ঢাকায় সামর্থ্যবানরা বেসরাকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবের দ্বারস্থ হচ্ছেন আর অনেকেই আতঙ্কে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আর ঢাকার বাইরে এখনো অনেকেই পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্বের অভিযোগ করছেন। হবিগঞ্জ জেলার টুম্পা তার মা ও বোন শরীরে লক্ষণ উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নমুনা দিয়ে দশদিন পর ফলাফল পান। পরীক্ষা ফলাফলে দেখা যায় টুম্পার নিজের ও তার মায়ের শরীরে করোনা পজিটিভ। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত তেসরা জুলাই দ্বিতীয় টেস্ট করান। দ্বিতীয় পরীক্ষার নমুনা দিয়ে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত ফলাফল পাননি। বিবিসিকে টুম্পা বলেন, তাদের নেগেটিভ সার্টিফিকেট পাওয়াটা খুবই প্রয়োজন। "আম্মুতো অসুস্থ - আমরা যে প্র্রেসার মাপাবো, ফার্মেসি থেকে একজন লোক আনাবো সেতো আসছে না বাসায়। আমরা হসপিটালে যেতে পারতেছি না। ডায়েবেটিস মাপাবো তাকে নিয়ে ডায়েবেটিস হাসপাতালে যেতে পারতেছি না। কারণ সবাই জানে আমরা পজিটিভ।" খুলনার একজন চাকরিজীবী আমিনুর রহমান জ্বরে ভুগে এ মাসের শুরুতে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন কিন্তু নানাভাবে চেষ্টা তদবির করেও ১২দিনে জানতে পারেননি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। মি. রহমান বলেন, "পরিচিত ডাক্তার, সাংবাদিক সবাইকে দিয়ে চেষ্টা করিয়েছি কিন্তু আমার রিপোর্টটা পাইনি। একবার বলা হচ্ছে যে আমার রিপোর্ট ঢাকা গেছে। আবার বলা হচ্ছে যে ঢাকা থেকে যা এসেছে তার মধ্যে আমার রিপোর্ট নাই। আমি বুঝতে পারতেছি না আমি পজিটিভ নাকি নেগেটিভ।" এ ধরনের ভোগান্তির অভিযোগের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূখপাত্র আয়েশা আক্তার বলেন, শুরুর দিকে ব্যবস্থাপনায় কিছু ঝামেলা থাকলেও এখন সেটি অনেক কমেছে। অনেকক্ষেত্রে রোগীদের নাম ঠিকানা ফোন নম্বর ইমেইল অ্যাড্রেস ভুল দেয়ার কারণেও বিলম্ব হয়। মিজ আক্তার বলেন, "ঢাকার বাইরে এখন দুই তিনদিনের মধ্যে হওয়ার কথা। ঢাকার মধ্যে সফটওয়্যার চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাচ্ছে। অতীতে ক্যাপাসিটির বাইরে বেশি নমুনা নেয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছে।" "৬০ হাজারের মতো নমুনা নিয়ে একটা ব্যাকলগ তৈরি হয়েছিলি। সেগুলো আমরা ঢাকায় এনে দ্রুত রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি। আশাকরি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।"
করোনা ভাইরাস: ভোগান্তি, জালিয়াতির পর কমছে টেস্ট, কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে বাল্য বিয়ে পনের শতাংশ কমে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। কিন্তু এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিলো প্রতি চারজনে একজন। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে বাল্য বিয়ে পনের শতাংশ কমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার প্রায় ৫০ শতাংশ থেকে এখন ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। বাল্য বিয়ের হার বাংলাদেশেও খুব বেশি ছিল, সর্বশেষ ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্য বিয়ের শিকার হতো। কিন্তু বর্তমানে এই হার কতো সেটা নিশ্চিত করে জানা গেলেও জাতিসংঘ বলছে, বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এখনও সেটা ৫০ শতাংশের উপরেই রয়ে গেছে। আরো পড়ুন: মুসলিমদের উপর হামলার পর শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা হাটহাজারীর মাদ্রাসায় কেন পোড়ানো হলো হাজারো মোবাইল ফোন? ভারতের কলকাতায় দিনেদুপুরে ৩ বছরের শিশুকে যৌন নিগ্রহ 'গ্রাম থেকে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েরা গুম হয়ে যাচ্ছে' বাংলাদেশে আসছে ইলিশের নুডলস এবং স্যুপ ঢাকায় ইউনিসেফের একজন কর্মকর্তা সোনিয়া সরদার বলছেন, নতুন এই রিপোর্টে তারা দেখছেন বাংলাদেশেও বাল্য বিয়ের হার কমছে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে এক ধরনের উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েরাও এখন তাদের বিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে। "স্থানীয় প্রশাসন এবং কমিউনিটিতে যেসব সংগঠন কাজ করে তারাও এগিয়ে এসেছে," বলেন তিনি। কিন্তু নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলছেন, এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে তারা মনে করেন না। তবে তিনি মনে করেন, যেটুকু অগ্রগতি হয়েছে সেটাও সম্ভব হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের তৎপরতার কারণে। "এখন মোটামুটি সবাই জানে যে বিয়ের জন্যে ন্যুনতম বয়স হচ্ছে ১৮। হার কমেছে কি বেড়েছে তার চাইতেও এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই না একটি শিশুও যাতে এ ধরনের বিয়ের শিকার হয়," বলেন তিনি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বাল্য বিয়ের এই হার এখনও খুব বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্পবয়সী মেয়েরাই এখন তাদের বিয়ে ঠেকাতে এগিয়ে আসছে সচেতনতা বাড়ার পরেও কেন এই বিয়ে রোধ করা যাচ্ছে না এই প্রশ্নের জবাবে নীনা গোস্বামী সামাজিক ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, "পরিবারে মেয়ে-শিশুকে এখনও একটি দায়ভার হিসেবে মনে করা হচ্ছে।" তিনি বলেন, আইনে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে করা আইনের বিশেষ একটি ধারার কারণে এটা ততোটা কার্যকর করা হচ্ছে না। ওই ধারাটিতে বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে দেওয়াকে আইনসম্মত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, ভারতে বাল্য বিবাহ কমানো সম্ভব হয়েছে নারীদের জন্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে। তাদেরকে বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝিয়ে সচেতন করা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, বাল্য বিবাহের প্রবণতা এখনও সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। কিন্তু তারপরেও ইথিওপিয়াতে এধরনের বিয়ের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে প্রতি তিনজন নারীর একজনের বাল্যকালেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এক দশক আগে এটা ছিলো প্রতি পাঁচজনে একজন। জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে বিশ্ব নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বজুড়ে বাল্যবিয়ে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ভিন্নমত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই উত্তর কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার সংসদে আনুষ্ঠানিক নাম 'সুপ্রিম পিপলস্ অ্যাসেমব্লি' (এসপিএ) এবং এতে ভোটদান বাধ্যতামূলক। সরকারি তালিকার বাইরে এতে অন্য কোন প্রার্থী বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে না। বিরোধী দল বলেও কিছু নেই। এই ধরনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ১০০%। সরকার যে জোট তৈরি করবে সেই জোটকেই সর্বসম্মতভাবে ভোট দিতে হবে। উত্তর কোরিয়া সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। কিম পরিবার বংশপরম্পরায় এই দেশটি শাসন করছে। শাসক পরিবার এবং ক্ষমতাসীন নেতার প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য দেখানো প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। কীভাবে ভোট হয়? সরকারের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করা উত্তর কোরীয়দের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নির্বাচনের দিনে ১৭ বছর বয়সের ওপর সব নাগরিককে ভোট দিতে হয়। "আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবে আপনাকে খুব ভোরে নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হতে হবে," বলছেন উত্তর কোরীয় বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর টার্টিস্কি, "এর মানে হলো সবাই একসাথে হাজরি হওয়ার পর ভোটকেন্দ্র লম্বা লাইন।" এরপর ভোটার যখন ভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন, তখন তার হাতে একটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে। ব্যালট পেপারে একটাই নাম থাকবে। সেখানে কোন কিছু লিখতে হবে না। কোন বাক্সে টিক চিহ্ন থাকবে না। ভোটার শুধু ব্যালট পেপারটি নিয়ে একটি বাক্সে ভরে দেবে। ভোটের বাক্সটিও সাধারণত খোলা অবস্থায় রাখা হয়। নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটের বুথ থাকে। কিন্তু কেউ সেখানে যায় না, বলছেন বিশ্লেষকেরা, কারণ সেটা করা হলে সেই ভোটারের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। আপনি চাইলে ব্যালট পেপারের নামটিও কেটে দিতে পারেন। মি. টার্টিস্কি বলেছেন, কিন্তু সেটা করলে নিশ্চিতভাবেই সরকারের গোপন পুলিশ আপনার সম্পর্কে খোঁজ-খবর শুরু করবে। এধরনের কাজ যারা করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে পাগল আখ্যা দেয়া হয়েছে। কিম পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশ শাসন করছে। আরও পড়তে পারেন: মোদী সরকার টিকছে কি না, জানা যাবে ২৩শে মে মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো 'ভোট দেয়া' শেষ হয়ে গেলে ভোটাররা নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে যাবেন এবং সেখানে উপস্থিত অন্যান্য ভোটের সাথে মিলে আনন্দ প্রকাশ করবেন এই কারণে যে দেশের সুযোগ্য নেতাদের প্রতি সমর্থন জানাতে পেরে আপনি খুবই খুশি। "উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ভোটের দিনটিকে বরাবর একটি উৎসব হিসেবে দেখানো হয়," - বলছেন মিনইয়াং লি। তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর 'এনকে নিউজ' নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইটের সাংবাদিক। যেহেতু ভোটদান বাধ্যতামূলক, তাই নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে কে ভোট দিতে যায় নি, কিংবা কে দেশ ছেড়ে চীনে পালিয়ে গেছে। সংসদের হাতে তাহলে কী ক্ষমতা রয়েছে? 'সুপ্রিম পিপলস্ অ্যাসেমব্লি' (এসপিএ) মূলত ক্ষমতাহীন, রাজনীতির ভাষায় যাকে রাবার-স্ট্যাম্প সংসদ বলা হয়। প্রতি পাঁচ বছর পর পর সংসদ নির্বাচন হয়। এটিই রাষ্ট্রের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী শাখা। "আমি জানি বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই বলে: 'এসপিএ-র ক্ষমতা খুবই সামান্য,'" বলছেন উত্তর কোরীয় বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর টার্টিস্কি, "কিন্তু আমি বলবো এর ক্ষমতা আসলে শূন্য।" উত্তর কোরিয়ার আইন তৈরি হয় ক্ষমতাসীন দলের হাতে আর সংসদ শুধুমাত্র সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়। উত্তর কোরিয়ায় ১৭ বছর থেকে শুরু করে সব বয়সের নাগরিকের ভোটদান বাধ্যতামূলক। তত্ত্বগতভাবে সংসদের হাতে যে ধরনের ক্ষমতা থাকা উচিত তার কিছু মাত্র নেই এসপিএ-র হাতে। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন পেলে সে দেশের সংবিধানকে বদলে ফেলা সম্ভব। আর সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কিম জং-আনকে তারা ক্ষমতা থেকে অপসারণ করাও সম্ভব, বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে সমস্যা হলো এসপিএ-র অধিবেশনও খুব নিয়মিতভাবে হয় না। প্রথম অধিবেশনের ছোট একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেটি সংসদের পক্ষ হয়ে কাজ করে। উত্তর কোরিয়ায় কী বিরোধীদল নেই? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন উত্তর কোরিয়ায় বিরোধীদলের কোন অস্তিত্বই নেই। কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে সে দেশের সংসদে তিনটি দল রয়েছে। কিম জং-আনের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির রয়েছে সবচেয়ে বেশি আসন। অন্যদিকে, সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি আর চন্ডোইস্ট চঙ্গু পার্টির সামান্য কিছু আসন রয়েছে। তবে এই তিনটি দলের মধ্যে বিশেষ কোন তফাৎ নেই। তারা সবাই মিলে তৈরি করেছে এক জোট যেটি মূলত দেশ পরিচালনা করে। এই জোটের নাম 'ডেমোক্র্যাটিক ফন্ট ফর দ্য রিইউনিফিকেশন অফ কোরিয়া।'
উত্তর কোরিয়ার সংসদ নির্বাচনে কেন ১০০% ভোট পড়ে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শেখ হাসিনা তিনি বলেন এ আইন নিয়ে তারাই উদ্বিগ্ন হবে, যারা 'মিথ্যা তথ্য' দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। আইনটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার মতে এই আইনটিতে একটি ধারা যুক্ত করার পক্ষে তিনি, আর তা হলো কোন সাংবাদিক যদি কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তাহলে তার শাস্তির বিধান থাকা উচিত। "যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে তাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে যে তার তথ্য সত্য,'' তিনি বলেন। ''যদি সে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, সেই সাংবাদিক যে সেটা লিখবে, যে পত্রিকা বা যে মিডিয়া সে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হোক বা ডিজিটাল ডিভাইস হোক যে ব্যবহার করবে বা যে এটা প্রকাশ করবে, তাদের সবাইকে শাস্তি পেতে হবে। এবং যার বিরুদ্ধে লিখবে, তার যে ক্ষতি হবে তাকে কমপেনসেশন দিতে হবে।" আরো পড়তে পারেন:চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রস্তাবে সরকারের অনুমোদন ‘ডিজিএফআই নয়, দুর্নীতির কারণেই সিনহার দেশত্যাগ’ একটি ধর্ষণের ঘটনা ও বাংলাদেশের স্বর্ণ নীতিমালা গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ১/১১'র পরে ২০০৭ সালে তিনি যখন বন্দি ছিলেন তখন তার দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা খবর প্রকাশ হয়েছিল। পরে এক সময় সেসব খবর যখন মিথ্যা প্রমাণ হলো, ততক্ষণে 'ড্যামেজ' হয়ে গেছে। তিনি পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগেরও উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে যার বিরুদ্ধে মিথ্যা লেখা হলো, তার পরিবারে, নিজের ছেলেমেয়ের কাছে, সমাজে তাকে যে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়, সেটা কে এবং কিভাবে কমপেনসেট করবে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। "২০০৭ এ আমি যখন বন্দি আমার বিরুদ্ধে যত দুর্নীতির ব্যপারে যত রকমের তথ্য যেসব পত্রিকা প্রকাশ করেছে, বা এখনো আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা নিউজ দিয়ে দিল, তদন্ত করে প্রমাণ হলো এটা মিথ্যা। তারপরে কি হয়? যার বিরুদ্ধে হয়, তার জীবন তো শেষ, তার তো ড্যামেজ হয়ে গেল। " "কিন্তু যে পত্রিকা এটা করলো সে কি শাস্তি পেল? তার তো কোন সাজা হলো না।" তিনি উল্লেখ করেন, মিগ, ফ্রিগেট কেনার কারণে মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে যার কোনটাই প্রমাণ হয়নি। তবে, তিনি সাংবাদিকদের কয়েকবারই 'ভয়ের কিছু নেই' বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০০৭ সালে তার দুর্নীতি নিয়ে যেসব সংবাদপত্র মিথ্যা খবর পরিবেশন করেছে, তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন, কিন্তু সেসময় নির্বাচন এবং পরে সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি তা করেননি। "তবে এখনো সুযোগ আছে, কমপেনসেশন চাইব আমি। আইনের মধ্যে একটু ঢুকায় দিয়ে কমপেনসেশন চাইব আমি।"---একটু হালকা সুরে যোগ করেন তিনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারার কারণে সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ এবং কাজের পদ্ধতি বাধাগ্রস্ত হবে এমন আশংকা করে এই আইনটি প্রণয়নের শুরু থেকে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এর একটি ধারায় বলা আছে ডিজিটাল মাধ্যমে সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হলে ১৪ বছরের সাজা হবে। এর ফলে যে বিষয়টি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণকে জানাচ্ছে না, তা নিয়ে রিপোর্ট করলে একজন সাংবাদিককে শাস্তি পেতে হতে পারে। একই সঙ্গে পরোয়ানা ছাড়াই আইনের ৪৩ ধারায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তাতেও গণমাধ্যম-কর্মীরা চাপের মুখে পড়বেন বলে আশংকা সংবাদপত্রের সম্পাদকদের পরিষদের। এছাড়া গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীদের আরেকটা বড় উদ্বেগ ২০১৩ সালের আইসিটি আইনের বাতিল হওয়া ৫৭ ধারাটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যেমন নতুন আইনের ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারো মানহানি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর মতো বিষয়গুলোকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর সব কয়টি ৫৭ ধারায় ছিল, যেগুলোর শাস্তি ক্ষেত্র বিশেষে তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৩ ধারায় বলা আছে আইনের ১৪টি ধারা থাকবে অ-জামিনযোগ্য।
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বললেন, ‘মিথ্যা তথ্য না দিলে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কিছু নাই’
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ঢাকায় শীর্ষস্থানীয় আমলাদের প্রতিবাদ সমাবেশের একাংশ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বিসিএসের সব ক্যাডারদের -সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম- সমাবেশের আয়োজন করে যাতে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। মিস্টার কায়কাউস তার বক্তৃতায় বলেন, "আমরা উনত্রিশটি ক্যাডার সার্ভিসের সবাই আজ অঙ্গীকার করছি যে জাতির পিতার অসম্মান আমরা হতে দিবোনা। জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। আমরা সবাই কেন বক্তৃতার শেষে জয় বাংলা বলবোনা। আশা করি আজ থেকেই শুরু করবো এবং প্রয়োজনে সরকারের অনুমতি নিবো"। এতে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদসহ বিসিএস এর সবগুলোর ক্যাডারের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবরাসহ প্রায় সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। এমন সময় তারা এই প্রতিবাদ করছেন, যখন একদিন আগেই খবর বেরিয়েছে, ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারী বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতাদের সাথে একটি সমঝোতা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে সরকার। সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ বলেন, "স্বাধীনতা, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জাতির জনক- নো বডি ক্যান টাচ দেম"। "আমরা তাদের মোকাবেলা করবো। বঙ্গবন্ধু দেশ, পতাকা, মানচিত্র দিয়েছেন। তার ওপর হামলা সংবিধানের ও রাষ্ট্রের ওপর হামলা। রাষ্ট্র অবশ্যই বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে"। বিসিএস অডিট ও অ্যাকাউন্টস এসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, "জাতির পিতাকে যারা অসম্মান করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করছি"। বিতর্কের মধ্যেই কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মানাধীন ভাস্কর্যে রাতের আঁধারে ভাংচুর চালানো হয় বিসিএস কর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফজলে হায়াত কায়সার বলেন, "বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা, আর বাংলাদেশ না হলে এত ক্যাডার সার্ভিস হতোনা। ভাস্কর্য যারা ভেঙ্গেছে তারা দেশবিরোধী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি"। বিসিএস শুষ্ক ও আবগারি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাস্টমস কমিশনার বলেন, "এখনো এ দেশে কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে যারা জাতির পিতাকে অশ্রদ্ধা করছেন। ভাস্কর্য ভাঙ্গার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি"। তিনি বলেন, "অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে। আমরা কি তাহলে বেশি মুসলমান হয়ে গেছি। আসলে তারা স্বাধীনতার প্রতি আঘাত করতে চায়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু- এসব নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুর ভাস্কর্য ইস্যুতে 'অবস্থান পরিবর্তন করবে না' হেফাজত মুজিব ভাস্কর্য: 'আওয়ামী লীগের নিজের ঘরেই সাপ ঢুকেছে' শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাংচুর: ভিডিও দেখে শনাক্ত, চারজন আটক ঢাকার ধোলাইরপাড় এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি স্থাপনের কাজ শেষের পথে বিসিএস তথ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, "স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা থাকবে তাদের বিপক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের কণ্ঠ সোচ্চার থাকবে"। "ভাস্কর্য মোটেও ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি শিল্পকর্মের অংশ। বাংলাদেশ এটি যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এতো কথা কেন। এটি হলো রাজনীতি। কর্মকর্তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে অবস্থান থাকতে হবে"। বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের পক্ষে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, "যারা বাংলাদেশের চাকা পেছনে নিতে চায় সেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে বেছে নিয়েছে"। "তারা রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে । আমরা এটাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারিনা"। বিসিএস সড়ক ও জনপথে প্রকৌশলী সমিতি, বিসিএস টেলিকম সমিতি, বিসিএস কৃষি ক্যাডার, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সহ প্রায় প্রতিটি সেক্টরে বিসিএস কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। আরো খবর: 'জয় বাংলা' শ্লোগান আর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে যেভাবে বিভক্তি এলো ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ আর গ্রুপ যে সুবিধা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের মরক্কো-ইসরায়েল চুক্তি: উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত-দলাদলির রেসিপি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনের ফল বদলানোর মামলা খারিজ
মুজিব ভাস্কর্য: 'বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক চলবে না' - দেশজুড়ে আমলাদের সমাবেশ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সীমান্ত অতিক্রম করে নেপালের ভূখন্ডে বাংলাদেশের বাস। ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানীগামী পরীক্ষামূলক বাসটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে এখন কাঠমান্ডুর পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ সেটি নেপালের রাজধানীতে গিয়ে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি দফতরের একদল কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে পথ চলা এই বাসের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিসের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখা। কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রী পরিবহন, যাত্রীবাহী বাস ও মালামালের জন্য কার্গো পরিবহন সুবিধা - তিনটি বিষয়কেই তারা বিবেচনার মধ্যে রাখছেন। চলন্ত বাসে বসেই বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সড়ক পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুইয়া জানান, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। সবশেষে কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। কাঁকরভিটা সীমান্তে বরণ করে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষামূলক বাসের যাত্রীদের। আরো দেখুন: তারেকের নির্বাসিত জীবন: দলের জন্য চ্যালেঞ্জ? আমদানি রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার হয় যেভাবে গাছে ঝুলে বিয়ের ছবি: ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যেতে ১১০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বলে তিনি বলেন। এতে মোট ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান। এই পথটুকুর জন্য অন্তত তিনবার যাত্রা বিরতি করতে হবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। কিন্তু এই দীর্ঘপথে যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্দেহ রয়ে গেছে। ফরিদ আহমেদ ভুইয়া বলেন, শিলিগুড়ি এবং কাঁকরভিটার সীমান্তে ইমিগ্রেশন এবং বিশ্রামের সুবিধে আরও বাড়াতে হবে বলে তার মনে হচ্ছে। পাশাপাশি এই তিন দেশের ইমিগ্রেশনের মধ্যেও সমন্বয় জোরদার করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন। কবে নাগাদ এই বাস সার্ভিস চালু হবে সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা এখনও কোন ধারণা দিতে পারছেন না । তারা শুধু এটুকুই বলছেন যে তিন দেশের মধ্যে প্রটোকল স্বাক্ষরের পর এই সার্ভিস চালু হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
কাঠমান্ডুর পথে ছুটে চলেছে বাংলাদেশের বাস
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মিয়ানমারের কুমারখালি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর ইসলাম। নিজের এলাকায় ৩০ বিঘা জমি, বাড়ি ঘর সব মিলিয়ে বেশ নাম ডাক ছিল মি. ইসলামের। কয়েক গ্রামের মানুষ তাকে এক নামে চিনতো। কিন্তু সেই ব্যক্তি, জীবন বাঁচাতে একেবারে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছেন পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে। আর এখন পলিথিনের শেড দেয়া ঘরে দিনের পর দিন পার করছেন তিনি এবং তার পরিবার। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার টেংখালি ক্যাম্পে এখন বাস জাফর ইসলামের। স্ত্রী হাসিনা বেগম এবং ছয় সন্তান নিয়ে এখানে রয়েছেন তিনি ছয় মাস ধরে। ওপরে পলিথিন এবং চারপাশে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছাপড়ার মত দুটি ঘর। ঘরের মধ্যে ঢুকে আমি দেখতে পেলাম কোনমতে জীবন ধারণ করার জন্য যে কাপড় দরকার সেগুলোই আছে। আসবাব বলতে কিছু নেই। মাটিতে বিছানা পেতে শোবার স্থান করা। শরণার্থীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। আমি যখন সেখানে গেলাম তখন দুপুর একটার কাছাকাছি। তবে দুপুরের রান্না-বান্নার কোন আয়োজন আমর চোখে পড়লো না। নেই কাজ কর্মের কোন তাড়া। হাসিনা বেগম মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। আমাকে দেখে উঠে বসলেন। ছেলে মেয়েরাও অলস বসে ছিল। মায়ের পাশে এসে বসলো তারাও। সেখানেই বলছিলেন মিয়ানমারে তাদের ফেলা আসা সহায়-সম্পত্তি, প্রভাব প্রতিপত্তি আর এখনকার দীনহীন অবস্থার কথা। এই জাফর ইসলামের বাড়ী ছিল কাঠের তৈরি দোতলা বাড়ী। যেটা মিয়ানমারের গ্রাম-অঞ্চলে শুধুমাত্র বিত্তবানদের থাকে। ঐতিহ্যবাহী এসব বাড়ী অনেক পুরনো, এবং বংশের ঐতিহ্য ধারণ করে। সেই বাড়ী ছেড়ে পলিথিনের ছাপড়ায় দিন কাটছে তাদের এখন। হাসিনা বেগম এবং জাফর ইসলামের বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো। হাসিনা বেগম বলছিলেন "এক কাপড়ে রাতের অন্ধকারে নৌকায় করে পালিয়ে এসেছি। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা সব বন্ধ। কবে আবার পড়াশোনা শুরু করতে পারবে তার কোন ঠিক নেই।" মি. ইসলাম পুরো সময়টা মাথা নীচু করে কথা বলছিলেন। বলছিলেন, এভাবে জীবন যাপন করা তার জন্য অসম্মানের। "শুধু সন্তান আর পরিবারের কথা চিন্তা করে পালিয়ে এসেছি," বলছিলেন তিনি। "যখন আসি তখন এক মাস চলার মত অর্থ আমার হাতে ছিল। কিন্তু আট জনের খরচ চালাতে কিছু দিনের মধ্যেই সেই অর্থ শেষ হয়ে যায়। এখন দিন চলছে বিভিন্ন সংস্থা আর মানুষের সাহায্যে, যেটা আমি কোন দিন কল্পনা করিনি।" হাসিনা বেগম বলছিলেন তাদের জমি-জমাতে অনেক কৃষক কাজ করতো। প্রতিদিন অনেক মানুষের খাবার ব্যবস্থা তারা করতেন কিন্তু এখন তাদেরকে অন্যের ওপর ভরসা করে চলতে হচ্ছে। এই পরিবারটির কাছে জানতে চাইলাম এখনকার জীবন নিয়ে তাদের কী ভাবনা? স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই একই উত্তর দিলেন। তারা বললেন, সেখানে অনেক সমস্যা কিন্তু জীবনের নিশ্চয়তা আছে। কিন্তু মিয়ানমারে তাদের সবকিছু ছিল কিন্তু জীবনের কোন নিশ্চয়তা ছিল না। জাফর ইসলাম বলছিলেন, তিনি শুনেছেন যে তার জমি মিয়ানমারের আর্মি দখল করে ফ্যাক্টরি বানানোর কাজ করছে। জানতে চাইলাম মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা? অনেক ক্ষণ চুপ থেকে বললেন "ইচ্ছা আছে। কিন্তু ফিরে যাবো কোন ভরসায়?"
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা: 'দিন চলছে বিভিন্ন সংস্থা আর মানুষের সাহায্যে, যেটা আমি কোন দিন কল্পনা করিনি'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদনকারীদের একজন নিসার আহমেদ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনে অপেক্ষা করছেন শুনানি শেষ হবার জন্য। ‌ওই আইনের বিরুদ্ধে যে শতাধিক আবেদন আদালতে জমা পড়েছে, তার শুনানিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের বক্তব্য জানাতেও চার সপ্তাহের সময় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে-র নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য শোনার আগে তারা কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা বিবেচনাই করবেন না। গত মাসে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অ্যাক্টিভিস্টরা আলাদা আলাদাভাবে যে সব আবেদন করেছিলেন, তার ১৪৪টিকে একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। মুম্বাই আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করার ও ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের (এনপিআর) কাজ আপাতত বন্ধ রাখার দাবি জানান। তবে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল জানান, আবেদনগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬০টির প্রতিলিপি সরকারকে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো পড়ে বক্তব্য জানানোর জন্য আরও সময় দরকার। ভারতের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে সে দেশের সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে চলে আসেন তাহলে তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-খ্রীষ্টানরা এই সুবিধা পেলেও মুসলিমরা এই আইনের আওতায় পড়ছেন না। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান এনে এই আইন ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকেই লঙ্ঘন করছে, এই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টে আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে বহু আবেদন জমা পড়েছে। আরো পড়তে পারেন: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল:যে কারণে এত বিতর্ক 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' ভূপেন হাজারিকা, নাগরিকত্ব ও 'পলিটিক্স নকোরিবা বন্ধু' দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের দৃষ্টান্ত নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব বিল: বিজেপি নেতাকে মাটিতে ফেলে চড় থাপ্পড় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আবেদনকারীদের মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিএম, সিপিআই-য়ের মতো বিরোধী দল যেমন আছে, তেমনি অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) মতো সংগঠনও আছে। এছাড়া কেরালার রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ, এআইএমআইএম নেতা ও হায়দ্রাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, তৃণমূলের এমপি মহুয়া মৈত্র, তামিল অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ কমল হাসনও অন্যতম আবেদনকারী। এখন যে তিন সদস্যের বেঞ্চ আবেদনগুলি শুনছে, তাতে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপিতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তবে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে, এই বেঞ্চের আকার বর্ধিত করে পাঁচ সদস্যের করা হবে এবং সেই বর্ধিত বেঞ্চ এই প্রায় শ দেড়েক আবেদনের ওপর একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করবে। এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) লখনৌতে এক সমাবেশে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, "বিক্ষোভকারীরা যত খুশি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে পারেন, কিন্তু সরকার কিছুতেই এই আইন প্রত্যাহার করবে না।"
নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দলটি ঢাকার ভোট যুদ্ধে থাকার পাশাপাশি ইভিএম-এর বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য মাঠে নেমেছে। ১৫ই জানুয়ারি বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ইভিএম নিয়ে সমস্যাগুলোর ব্যাপারে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ঢাকার দু'টি নির্বাচনেই বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকার দু'টি সিটি কর্পোরেশনেই বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, যেহেতু ঢাকার এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে, সেজন্য তাদের সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ইভিএম-বিরোধী বক্তব্যকে তুলে ধরার কৌশল নেয়া হয়েছে, যাতে তাদের ভোটাররা বিভ্রান্ত না হয়। এছাড়াও বিএনপি শুধু রাজনৈতিক কারণে এর বিরোধিতা করছে, সেটাও যেন মনে না হয়, এই চেষ্টাও তাদের রয়েছে। এমন কৌশলের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকায় স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তাদের সমমনা বিশেষজ্ঞদের একটি দলের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আরো পড়ুন: ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ ইভিএমে নির্বাচন প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ যাচাই করেনা কমিশন সিটি কর্পোরেশন যেখানে ব্যর্থ, সেখানে সফল সোসাইটি সিটি কর্পোরেশন থেকে কী কী সেবা পাবে জনগণ বিরোধীদলগুলো আগের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে অনেক অনিয়মের অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন তা মানতে রাজি নয়। এই আলোচনায় বিএনপির কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলোর নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম একজন নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চাপা দিতে এখন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। "ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট পুনঃগণনার কোন ব্যবস্থা নাই। কোন বিতর্ক হলে মামলা করার সুযোগ নাই। এখন গুণ্ডামির দরকার হবে না। পুলিশকে রাতে বিরানি খাওয়ার টাকাও দিতে হবে না। কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হবে না। শুধু সুইচ টিপলেই সব ভোট চলে আসবে। কিন্তু প্রার্থী বা ভোটার হিসেবে আপনি কোন প্রমাণপত্র হাতে পাবেন না। ফলে মামলাও করতে পারবেন না।" ইভিএম-বিরোধী আলোচনায় যে বিশেষজ্ঞ দলটি ট্যাকনিক্যাল সমস্যাগুলো তুলে ধরেছে, সেই দলের প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, একজন ভোটার ভোট দেয়ার পর জানতে পারবেন না যে তিনি কোথায় ভোট দিলেন- এটিই ইভিএম এর বড় ত্রুটি বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। "আপনি যখন কোনো মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ভোট দিয়ে দেবেন, তখন সেখানে কোনো প্রমাণ নাই যে, আপনি ধানের শীষে বা নৌকায় বা লাঙ্গলে ভোট দিয়েছেন। এর বাইরে সরকারের ম্যানিপুলেশন তো আছেই।" রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর এবং তার আগের সংসদ নির্বাচন নিয়ে যেহেতু অনেক প্রশ্ন আছে, সেকারণে ইভিএম নিয়েও মানুষের মধ্যে একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিএনপি এখন সেটাকে কাজে লাগাতে চাইছে বলে তাদের ধারণা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রওনক জাহান বলেছেন, "আসল সমস্যা হচ্ছে, প্রধান দুই দলের মধ্যে কোন কিছুতেই কোন বিশ্বাস নেই। এছাড়া পর পর দু'টি সংসদ নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন সবার মধ্যে রয়ে গেছে। সেজন্য নতুন কিছু করতে গেলেও প্রশ্ন থাকবে।" তবে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের আপত্তি বা বিতর্কের পরও নির্বাচন কমিশন ঢাকার দু'টি নির্বাচনেই পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহারের অবস্থানেই রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সরস্বতী পূজা ও নির্বাচনী তারিখ জটিলতার কারণ কী? পুশব্যাক নিয়ে কিছুই জানতাম না: বিবিসিকে মমতা হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছে যেসব গাছ জরুরী অবতরণের আগে স্কুলের ওপর তেল ফেলেছে বিমান ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম ব্যবহার করে এর আগে বিভিন্ন নির্বাচন করার বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে একজন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছিলেন, "রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। গত অক্টোবরে উপজেলা নির্বাচনেও অনেকগুলোতে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এগুলোর কোনটিতেই বিতর্ক হয়নি।" তবে বিরোধী দলগুলো আগের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে অনেক অনিয়মের অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচন কমিশন তা মানতে রাজি নয়। ইভিএম-এর কারিগরি সমস্যা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের অনেকে যে মতামত তুলে ধরছেন, সে প্রেক্ষাপটে কবিতা খানমের বক্তব্য হচ্ছে, "কেউ নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার না হলে তিনি ইভিএম মেশিন ওপেনই করতে পারবেন না। কারণ তার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলতে হবে।" তিনি বলেছেন, ভোটার কোথায় ভোট দিচ্ছেন তা বুঝতে পারবেন না- এমন বক্তব্য সঠিক নয়। তাঁর যুক্তি হচ্ছে, একজন ভোটার মেশিনে বাটন চেপে তার পছন্দের প্রতীক বাছাই করে তারপর সবুজ বাটন চেপে ভোট দেবেন। এখানে কোনো ত্রুটি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং বা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে ইভিএম মেশিন চালু করার ক্ষমতায় দেয়ায় তাতেও অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, "মেশিন চালু করার এই ক্ষমতা একটা সীমার মধ্যে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাত্র ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে মেশিন চালু করতে পারবেন। অনেকের হাতের রেখায় পরিবর্তন হয়, সেকারণে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।"
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন: দলগুলোর মধ্যে অনাস্থাই কি ইভিএম বিতর্কের মূলে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
গত বছরের এক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে নারীদের ৯০ শতাংশ টেলিভিশন দেখেন, কিন্তু এদের ৬০ শতাংশই দেখেন স্টার জলসা। এর ফলে বাংলাদেশে এ তিনটি ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রদর্শনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করেন। ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। যেই রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, স্টার প্লাস, স্টার জলসা এবং জি বাংলা ভারতীয় চ্যানেল তিনটিতে এমন সব অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এগুলো বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এরপর পর ২০১৪ সালের ১৯শে অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ভারতীয় এই তিনটি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশিদের কাছে অনেক জনপ্রিয় যে সম্প্রতি এগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যেরও বিজ্ঞাপন প্রচার হতে দেখা গেছে ওই সময় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিট আবেদনের শুনানির পর তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ার‍ম্যান, বিটিভির মহাপরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের স্বত্বাধিকারী জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দেবার জন্য চার সপ্তাহের জন্য সময়ও বেঁধে দেয়া হয়। স্টার প্লাস, স্টার জলসা এবং জি বাংলা -আলোচিত ভারতীয় এই তিনটি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশি টেলিভিশন দর্শকদের একটি বড় অংশের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। গত বছরের এক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে নারীদের ৯০ শতাংশ টেলিভিশন দেখেন, কিন্তু এদের ৬০ শতাংশই দেখেন স্টার জলসা।
বাংলাদেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলার সম্প্রচার চলবে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে কুতুপালং শিবিরে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিলা গত বছরের আগস্ট মাসে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান ও নির্যাতনের মুখে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের বিশেষ তথ্য অনুসন্ধানী কমিটির প্রধান মারযুকি দারুসমান বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক রিপোর্টে বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে এখনও গণহত্যা চলছে। এখনও যে প্রায় চার লক্ষ রোহিঙ্গা রাখাইনে রয়ে গেছেন - তারা নানা ধরনের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে যে পদক্ষেপই নিতে চেষ্টা করুক না কেন, তাতে বাধ সাধে স্থায়ী সদস্য চীন, তার সাথে রাশিয়াও।রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন কেন জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে? কী তার স্বার্থ? মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলীকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলছেন - চীনের প্রধান স্বার্থ দুটি। বিবিসি বাংলার মাসুদ হাসান খানকে দেয়া সাক্ষাতকারে ড. আলি বলেন, এর একটি হলো অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার পক্ষে তাদের চিরাচরিত পররাষ্ট্রনীতি - যার পাশাপাশি চীন চায় যে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারেও অন্য কোন দেশ হস্তক্ষেপ না করুক। "আর অপরটি হচ্ছে, তাদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থ - যার মূল কথা: তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও তেল-গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য মালাক্কা প্রণালী ছাড়াও মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে আরেকটি স্থলপথকে অক্ষুণ্ণ রাখা।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এখনও চলছে গণহত্যা' বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম চীনের এই নীতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে ড. আলি বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে তারা ২০১৭ সাল থেকেই বলে আসছে যে চীন ও বাংলাদেশের সরকারকেই আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান করতে হবে - বাইরের কোন শক্তির হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না, কারণ তাতে সমস্যার সমাধান হবে না। ড. আলি বলেন, চীনের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। তিব্বত বা শিনজিয়াং - এই দুই প্রদেশের অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোক বাস করে এবং তাদের সাথে বহু দশক ধরে চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ হান সম্প্রদায়ের সংঘাত চলছে। চীন সরকার এই অঞ্চলগুলোকে শান্ত করার জন্য বেশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এ নীতি দেখিয়েই তারা চাইছে, অন্য দেশগুলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করুক। "এটা হচ্ছে একটি দিক। অন্য আরেকটি বিষয় ভুললে চলবে না যে বহু দশক ধরে মিয়ানমার চীনের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এর অনেক কারণ - তবে একটির কথা আমি বলতে চাই।" রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির দেখে গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস সৈয়দ মাহমুদ আলির কথায়, "গত দু দশক ধরে চীনের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে হচ্ছে। সেই বাণিজ্য মালাক্কা প্রণালী দিয়ে হয় এবং চীন জানে যে তার সাথে শত্রুভাবাপন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং তার আঞ্চলিক মিত্ররা চাইলেই চীনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে পারে। এটাকেই বলে চীনের মালাক্কা সংকট।" "এখন বাণিজ্য পথ খোলা রাখার জন্য চীন যদি সেখানে নৌবাহিনী পাঠায় - তাহলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে - যাকে বলে চীনের মালাক্কা ডাইলেমা।" "সেই মালাক্কা সংকটের কথা মাথায় রেখেই চীন স্থলপথে বিভিন্ন পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল এবং গ্যাস যাতে চীনে পৌছাতে পারে- তার ব্যবস্থা করেছে। এরকম দুটি পাইপলাইন আরাকান অর্থাৎ মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছেছে। ভারতেরও এ ধরণের বিনিয়োগ রয়েছে কালাদান এবং সিটওয়ে বন্দরে - কিন্তু চীনের অর্থনীতির জন্য এ দুটি পাইপলাইন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই চীন চাইছে না যে মিয়ানমার সরকার যেন আরাকানের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ হারায়, বা আরাকানকে কেন্দ্র করে চীন-মিয়ানমার সম্পর্ক খারাপ হোক। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার চীনের যে নীতি - তার সূচনা কিভাবে হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে ড. আলি বলেন, তিব্বতে ১৯৫৪ সালে যখন গৃহযুদ্ধ চলছিল - যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তখন তিব্বতী যোদ্ধাদের সমর্থন দিচ্ছিল। সেই যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্য নিয়ে চীন এবং ভারত সরকার ১৯৫৪ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাঁচটি আদর্শের কথা বলা হয়েছিল। তার প্রথমটি ছিল - কোন দেশই অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। জাতিসংঘের সনদেও এমনটা লেখা আছে। "১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং-এ আফ্রিকান এবং এশিয়ান দেশগুলোর এক সম্মেলনে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা হয়। সেখানেও বলা হয়েছিল, এই আদর্শগুলোকে অনুসরণ করেই জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোকে পরস্পরের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে। চীন আনুষ্ঠানিকভাবে এই পাঁচটি নীতিমালা এখনো বজায় রেখেছে, সেকারণেই তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে চাইছে না। মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য।" তাহলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে আসল চাবিকাঠি কার হাতে? বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, মিয়ানমারের মন্ত্রী কিয়াও তিন সোয়ে জবাবে সৈয়দ মাহমুদ আলি বলেন, লক্ষ্য করার বিষয় যে অন্য ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও রোহিঙ্গা বা মিয়ানমার বিষয়ে তাদের নীতি মোটামুটি একই রকম। তিনি বলেন - "বাংলাদেশ যদি আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে এ সংকটের সমাধানে আগ্রহী হয় - তাহলে আমার মনে হয় বাংলাদেশের দুটি বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও চীন - এই দুই রাষ্ট্রের সহযোগিতার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সাথে আলোচনা করা সম্ভব। " কিন্তু ভারত এবং চীনকে বাদ দিয়ে এ সংকটের সমাধান সম্ভব বলে আমার মনে হয় না - বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন কেন সবসময় মিয়ানমারের পক্ষে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
অভিজিৎ ব্যানার্জি এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কি বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোন 'শ্রেষ্ঠত্বের' পরিচায়ক? তাকে নিয়ে বাংলাদেশের বাঙালি আর পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির প্রতিক্রিয়ায় কি একটা পার্থক্য থাকতে হবে? ভারত ও বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে এরকম নানা প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা-বিতর্ক । অভিজিৎ ব্যানার্জি এখন যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, কিন্তু তার জন্ম বাঙালি পরিবারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও কলকাতায়। তাই তার নোবেল প্রাপ্তিতে ভারত ও বাংলাদেশে বাঙালিদের মধ্যে একটা আনন্দ দেখা যাচ্ছে - যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনলাইন যুদ্ধ সেই উল্লাস প্রকাশের মধ্যে দিয়েই উঠে এসেছে ভারতের বিভিন্ন জাতিসত্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা কিছুটা রেষারেষির মানসিকতা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কল্পিত 'জাতীয় শ্রেষ্ঠত্ব' নিয়ে বড়াইয়ের প্রবণতাও। বাংলাদেশ ও ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের আঁচও উঠে এসেছে নানা জায়গায় - বিশেষ করে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যম পরিমন্ডলে। বাঙালিরা জিতেছেন চারটি নোবেল পুরস্কার তা ছাড়া অভিজিৎ ব্যানার্জি ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন অতীতে - তাই তার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে বিজেপি-সমর্থক ও বিজেপি-বিরোধীদের মধ্যেও একটা 'অনলাইন-যুদ্ধের' আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। টুইটারে 'যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারজয়ী সকল বাঙালিকে' সুপ্রভাত জানিয়েছেন একজন। আরেক জন লিখেছেন, বাঙালি নোবেল জিতলে তার কী প্রতিক্রিয়া হবে - তা ভাবলে তার ভয় হয়। একজন টুইটারে একটি হিসেব দিয়েছেন : উপমহাদেশে কোন জাতিসত্তার কতজন নোবেল পুরস্কার জিতেছে। তার হিসেবে বলা হচ্ছে বাঙালিরা জিতেছে চারটি (রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন, মুহাম্মদ ইউনুস, অভিজিৎ ব্যানার্জি) তামিলরা জিতেছে ৩টি (রামন, চন্দ্রশেখর, ভেঙ্কটরামন), পাঞ্জাবিরা দুটি(হরগোবিন্দ খোরানা, আবদুস সালাম), পাশতুন ১ (মালালা ইউসুফজাই), হিন্দুস্থানী ১টি (সত্যার্থী)। নোবেলের আলোচনায় আর্যভট্টের শূন্য আবিষ্কারকে টেনে এনেছেন একজন সুজি ডার্কিন্স নামে একজন অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন যে অভিজিৎ ব্যানার্জি নোবেল পেয়েছেন তার অর্থনীতির জ্ঞানের জন্য, তিনি বাঙালি এ জন্য নয়। আরেক জন লিখেছেন, বাঙালিরা কথা বলে, তামিলরা কাজ করে... তিনজন বাঙালি 'হাওয়াই' নোবেল জিতেছেন, আর তিনজন মাদ্রাজী ও একজন পাঞ্জাবি নোবেল পেয়েছেন বিশুদ্ধ বিজ্ঞানে। শূন্য আবিষ্কার: নতুন তত্ত্ব শূন্য সংখ্যাটির ধারণা আবিষ্কারের সাথে জড়িয়ে আছে প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ আর্যভট্টের নাম । তার এ আবিষ্কারের সাথে নোবেল পুরস্কারকে জড়িয়ে মজার মন্তব্য করেছেন অগ্নিভ নিয়োগী নামে একজন। টুইটারে তিনি লিখেছেন "কতজন গুজরাটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন - তা সন্ধান করতে গিয়েই শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন আর্যভট্ট।" অনেকে মনে করেন, এখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য বলেই গুজরাটের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর নীতির কড়া সমালোচক অভিজিৎ ব্যানাজির নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে মি. মোদী এবং বিজেপির প্রতিক্রিয়া ছিল নিস্পৃহ ধরণের। কেউ কেউ বলেছেন, বিজেপি ও সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠরা যে অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জীর মতো অর্থনীতিবিদের নোবেল জয়কে ঠিকমতো হজম করতে পারছেন না, এটাই তার কারণ। একজন বলছেন, বাঙালিরা কথা বলে, অন্যেরা কাজ করে একজন লিখেছেন: কোন ভারতীয় নোবেল পেলে ধারাবাহিকভাবে যে প্রতিক্রিয়াগুলো হতে দেখা যায় তা হলো এই রকম। "প্রথমে দেখা যায় সম্মান পাবার উত্তেজনা। তারপর আত্মানুসন্ধান: এই বিজয়ীরা ভারতে বসে এ সাফল্য পান না কেন? তৃতীয় প্রতিক্রিয়া, ক্রোধ: এরা ভারত ছেড়ে গেল কেন? চতুর্থ প্রতিক্রিয়া: এদের নিয়ে গুগল সার্চ 'হা ঈশ্বর, ওরা এসব কী বলেছে?' পঞ্চম প্রতিক্রিয়া: এরা মানসিকভাবে 'পুরোপুরি ভারতীয়' নয়।" বাংলাদেশে কি বলা হচ্ছে? বাংলাদেশেও অনেকে সামাজিক মাধ্যমে একজন বাঙালির নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করছেন। তবে একজন ভারতীয় বাঙালি নোবেল পেযেছেন বলে বাংলাদেশীদের এত উল্লাসের কি আছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন অন্য কেউ কেউ। নোবেল শান্তি পুরস্কা পেয়েছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনুস যখন নোবেল পেয়েছিলেন তখন কি ভারতে বা পশ্চিমবঙ্গে এমন উল্লাস হয়েছিল? এর সাথে অনেকে একমত প্রকাশ করলেও অন্য কয়েকজন নানা তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে ভারতেও অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। এটা কি আসলেই নোবেল পুরস্কার? আরেকটি আলোচনাও দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে - আর তা হলো : অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে এই নোবেল পুরস্কার আসলেই 'নোবেল পুরস্কার' কি না। বাংলাদেশ ও ভারত - দু'জায়গাতেই সামাজিক মাধ্যমে এ প্রসঙ্গ এসেছে। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার আসল নোবেল নয়, এমন কথাও বলছেন অনেকে কেউ কেউ তুলে ধরেছেন যে এটি আসলে ঠিক ঐতিহ্যগত নোবেল কমিটির দেয়া পুরস্কার নয়। তারা নানা তথ্য উদ্ধৃত করে বলছেন, এটি হচ্ছে 'আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে' দেয়া সুইডিশ রিকজব্যাংক পুরস্কার (Sveriges Riksbank Prize। )। এটি ১৯৬০এর দশকের একেবারে শেষ দিকে দেয়া শুরু হয়েছিল এবং এর পদকটিও অন্যান্য নোবেল পদকের চেয়ে একটু অন্যরকম দেখতে - যদিও 'অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার' হিসেবে এটিকেই বোঝায়। ভারতে হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন ব্যক্তিরা এ নিয়ে কটাক্ষ করছেন সোমবার থেকেই। কেউ যেমন বলছেন, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারই নেই, তাই অভিজিৎ ব্যানার্জী নোবেল পেয়েছেন, এমনটা বলা ঠিক নয়। কেউ টেনে আনছেন আরেক নোবেলজয়ী বাঙালী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকেও। এরা মন্তব্য করছেন, অভিজিৎ ব্যানার্জী আর অমর্ত্য সেনদের মতো অর্থনীতিবিদদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির এই 'দুর্দশা।' আরো পড়ুন: ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কি হঠাৎ করেই থেমে গেল? প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যা কী করে সম্ভব? শিগগিরই তৈরি হতে যাচ্ছে কৃত্রিম মাতৃগর্ভ?
অভিজিৎ ব্যানার্জির নোবেল পাওয়া নিয়ে ভারতে আর বাংলাদেশে বাঙালির যত তর্ক
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
খাদিজা বেগম অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করেছে, বার বার প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষিপ্ত ছিল বদরুল। এই ক্ষিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে চাপাতি হাতে নার্গিসের উপর তার আক্রমণে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগপত্রের বিস্তারিত তুলে ধরেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিলেটের শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক হারুন-উর-রশীদ। মি. রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলের সব প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে, সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা অভিযোগপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। আদালত এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় বেশ দ্রুততার সঙ্গেই চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র জমা দিল পুলিশ। কিন্তু তারপরও এই ঘটনাটি ছিল একেবারেই পরিষ্কার। খাদিজার উপর বদরুলের হামলার একাধিক ভিডিও রয়েছে, যা প্রত্যক্ষদর্শীরাই ধারণ করেছেন। সিলেট থেকে ঢাকার হাসপাতালে এই অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল খাদিজাকে। (ফাইল চিত্র) তাছাড়া ধরা পরার পর অভিযুক্ত বদরুল নিজেও তার কৃতকর্ম স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তবে কেন অভিযোগপত্র জমা দিতে মাসাধিক সময় লাগল? তদন্ত কর্মকর্তা মি. রশিদ বলছেন, "আমরা আসলে অপেক্ষা করছিলাম ভিকটিমের সাক্ষ্য নেবার জন্য। এজন্যই দেরী করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে পুরোপুরি সেরে না ওঠার কারণে তার সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই তার সাক্ষ্য গ্রহণ ছাড়াই অভিযোগ পত্র জমা দিতে হল"। মি. রশিদ আরো বলেন, এখন আদালত যদি মনে করে খাদিজার বক্তব্য শোনা প্রয়োজন তবে সে সেরে ওঠার পর তাকে আদালতে তলব করতে পারেন। এই অভিযোগপত্র জমা দেবার পর সন্তোষ প্রকাশ করেন সিলেটের আদালত চত্বরে উপস্থিত খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি খাদিজার উপর হামলার ন্যায় বিচার ও অভিযুক্ত বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় গত ৩রা অক্টোবর বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজের সামনে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। এরপর থেকে খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রথম দিকে খাদিজা বেঁচে থাকবেন এমন আশা ছিল না, তবে তিনি এ যাত্রা বেঁচে গেছেন এবং খুবই ধীর গতিতে সেরে উঠছেন। এখন খাদিজা অল্প স্বল্প কথা বলতে পারেন, তবে তা অসংলগ্ন। আর শরীরের বিভিন্ন অংশ সামান্য নড়াচড়া করতে পারেন বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে।
বাংলাদেশের সিলেটে আলোচিত খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র দায়ের
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর বলেছেন "পুরুষরাই তো নেতৃত্ব দেবেন। নারীরা পুরুষদের সহযোগী। মহিলাঙ্গণে মহিলারা নেতৃত্ব দেবেন। সভা সমাবেশে তাদের যাওয়ার দরকার নেই" আর প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ দেখা গেলেও, ইসলামী দলগুলোতে তা নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে দলগুলোর হাতে সময় আছে আর তিন বছর। সময় বেঁধে দেবার বিষয় নিয়ে কী বলছে ইসলামী দলগুলো? কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো দলে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও কুড়ি শতাংশের ওপরে নারী সদস্য নেই কোনো রাজনৈতিক দলেই। সবেচেয়ে খারাপ অবস্থা ধর্মভিত্তিক ইসলামী দলগুলোর। খেলাফতে মজলিস নামে দলটির কেন্দ্রীয় বা তৃণমূলের কোনো কমিটিতেই কোনো নারী সদস্য নেই। খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর বিবিসি বাংলাকে বলেন, তাদের মহিলা মজলিস নামে একটি ইউনিট আছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীদের আনতে চাইছেন তারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনও স্থান হয়নি নারীদের। দলটির সারাদেশে সদস্য সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের মতো। তার দুই শতাংশ নারী সদস্য বলে তারা দাবি করেন। সারাদেশে সদস্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান মি. আসগর। কিন্তু ইসলামী দলগুলোতে তারা কতটা ভূমিকা রাখতে পারছেন? মি: আসগর বলেন, ঘরোয়াভাবে নারী সদস্য সংগ্রহ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সভা সমাবেশে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে ইসলামী দলগুলো এখনো সরব নয়। "পুরুষরাই তো নেতৃত্ব দেবেন। নারীরা পুরুষদের সহযোগী। মহিলাঙ্গণে মহিলারা নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের পলিসিটা সেটাই। সভা সমাবেশে তাদের যাওয়ার দরকার নেই" বলেন তিনি। ২০২০ সালের মধ্যে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নিবন্ধিত ৪০টি দলের কাছে 'নারী প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্তির' সর্বশেষ তথ্য চেয়ে তাগিদ দেয় ইসি। দেশে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামী ধর্মভিত্তিক দল ১১টি। এদের মধ্যে এমন দলও আছে যাদের কেন্দ্রীয় বা তৃণমূলের কোনো কমিটিতেই কোনো নারী সদস্য নেই। ইসলামী ঐকজোটের নারী সদস্য সংখ্যা এক শতাংশেরও নিচে বলে জানায় নির্বাচন কশিন। এমন প্রেক্ষাপটে আগামি সাড়ে তিন বছরের মধ্যে শর্ত পূরণ করা কতটা সম্ভব? ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, তাদের সদস্য সংখ্যা জানাতে পারেননি তবে তারা এ বিষয়ে করছেন বলে উল্লেখ করেন। তবে সবচেয়ে দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগেরও কুড়ি শতাংশের ওপরে নারী সদস্য নেই। বিএনপি, জাতীয় পার্টিতে তা আরও কম। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও কুড়ি শতাংশের ওপরে নারী সদস্য নেই কোনো রাজনৈতিক দলেই। আওয়ামী লীগ নেতা, নুহ আলম লেলিন বলছিলেন,"বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের অংশ দিন দিন বাড়লেও, সক্রিয় রাজনীতিতে নারীদের নিয়ে আসা এখনো চ্যালেঞ্জ"। নির্বাচন কমিশন সচিব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান এখনও পর্যন্ত ষোলোটি দল তাদের চিঠির জবাব দিয়েছে। দলগুলো নারীদের অংশগ্রহণের এই শর্ত পূরণ না করলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? মি: আব্দুল্লাহ জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ করেত না পারলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাববে কমিশন। তবে এক্ষেত্রে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের নারীদের ইউনিট থাকার কথা বলা হলেও সেসব দলের রাজনীতিতে নারীরা সক্রিয় নন। আর যারা আছেন তারা সভা সমাবেশে বা রাজপথের আন্দোলনে যাবেন- সেই মানসিকতাও ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এখনো গড়ে ওঠেনি। তাদের সীমাবদ্ধতা ঘরোয়াভাবে নারী সদস্য সংগ্রহ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্ব বা ক্ষমতায়নের যে কথা বলা হচ্ছে সেক্ষেত্রে এই বাধ্য-বাধকতা কতটা ভূমিকা রাখবে সেটাই দেখার বিষয়। আরো পড়তে পারেন: প্রিন্সেস ডায়ানার শেষ ফোন নিয়ে দুই ছেলের 'অনুতাপ' দার্জিলিংয়ের বিক্ষোভে প্রশিক্ষক ভাড়াটে মাওবাদীরা? 'সিদ্দিকুরের এক চোখের দৃষ্টি ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ'
'পুরুষরাইতো নেতৃত্ব দেবেন, সভা সমাবেশে নারীদের যাওয়ার দরকার নেই'
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সৌদি আরব সফরের আগে মি. এরদোয়ান এই বিরোধ নিরসনে প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতে যাবেন। এরপর তিনি যাবেন কাতার। জুনে 'সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়া' এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর। এরপর দুই দফায় কাতারকে নানা রকম শর্ত দেয় আরব দেশগুলো, যা মানতে অস্বীকৃতি জানায় কাতার। তবে, বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এ সফরের মাধ্যমে মি এরদোয়ানের পক্ষে এই বিরোধ নিরসনে ভূমিকা রাখার সুযোগ খুবই কম। কেননা, তুরস্ক ইতিমধ্যেই কাতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, আবার একই সঙ্গে দেশটি সৌদি আরবের বিপক্ষে অবস্থান নেবে না। তুরস্কের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক জুনে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ফলে দেশটিতে যেন খাদ্য সংকট তৈরি না হয় সেই জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠায় তুরস্ক। সেসময় দেশটির ওপর আরোপ করা অবরোধেরও কড়া সমালোচনা করেছিলেন মি. এরদোয়ান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ২০১৫ সালে সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ। এ ছাড়া কাতারে সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করেছে তুরস্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরব বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দোহাকে অন্যতম মিত্র হিসেবে আঙ্কারার অবস্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সেনা সদস্যদের একাংশের অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টার সময় প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। অভ্যুত্থান চেষ্টার পর মি: এরদোয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাতারের বিশেষ বাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি ইউনিট তুরস্ক পাঠানো হয়েছিল বলেও জানা যায়। তাছাড়া দুই দেশের সরকারের মধ্যে আদর্শিক ঐক্যও রয়েছে। মিশরভিত্তিক ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে মনে করে না দুই দেশই। আবার ইরানের প্রতিও দেশ দুটির দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম। দুই পক্ষই স্বীকার করে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হলো ইরান। আরো পড়ুন: প্রিন্সেস ডায়ানার শেষ ফোন নিয়ে দুই ছেলের 'অনুতাপ' 'পুরুষরাইতো নেতৃত্ব দেবেন, সভা সমাবেশে নারীদের যাওয়ার দরকার নেই' দার্জিলিংয়ের বিক্ষোভে প্রশিক্ষক ভাড়াটে মাওবাদীরা?
কেন কাতার ও উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরোধ নিরসনে উদ্যোগী তুরস্ক?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
নির্দেশ অমান্য করে কেউ মসজিদে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়ে সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মসজিদে শুধু ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খাদেমরা নামাজ পড়তে পারবেন। তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও তাদের উপাসনালয়ে জড়ো না হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে প্রার্থনা বা উপাসনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশ না মানলে সরকার কঠোর ব্যবস্থার নেয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিলম্বে হলেও এখন দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর বা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এখন থেকে মসজিদে কোন জামাতে পাঁচ জনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। আর শুক্রবারের জুমার নামাজে মর্বোচ্চ ১০ জন অংশ নিতে পারবেন। এই অংশগ্রহণকারীরা হবেন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খাদেম। মসজিদের বাইরে থেকে কোন মুসল্লিও জামাতে যোগ দিতে পারবেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর কথা তুলে ধরে ধর্ম মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশ বিজ্ঞপ্তি হিসাবে জারি করেছে। বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে এসেছেন একজন মুসল্লি। মুখে মাস্ক। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলছিলেন, ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খাদেমদের মাধ্যমে জামাত করে মসজিদ চালু রাখা হচ্ছে। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে সাধারণ মুসল্লি কেউ মসজিদে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। "মসজিদের ইমাম, খাদেমরা শুধু জামাতে নামাজ পড়বেন। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন না। সকলকে ঘরে বসেই নামাজ পড়তে হবে। এই নির্দেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। কেউ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।" ওয়াজ মাহফিলসহ সব ধর্মীয় জমায়েত আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এর মাঝেও বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের দুই অংশই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে তাদের জমায়েত অব্যাহত রেখেছিল। ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে তাবলীগের জমায়েতে অংশ নেয়া একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দু'শো জনের মতো আটকা পড়েছেন। অবশ্য সোমবার তাবলীগের দুই অংশ সারাদেশে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। মসজিদে জামাতে নামাজের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে ইমাম ও আলেমদের অনেকে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ঢাকার চকবাজার মসজিদের ইমাম এবং 'জাতীয় ইমাম সমাজের' সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন বলছিলেন, "শুরু থেকেই আমাদের কথা ছিল, মসজিদে জামাত বন্ধ না করা। এখন যেহেতু ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমদের দিয়ে নামাজ হবে তার অর্থ হচ্ছে মসজিদ চালু থাকবে। একারণে মসজিদে মুসল্লি না আসার সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন সহজ হবে।" এসব সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেয়া হলো বলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ইমাম এবং আলেমসহ ধর্মীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে আসছিল। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন মত থাকায় এতদিন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা। প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলছিলেন, শেষ পর্যন্ত আলোচনায় সকলকে তারা এক জায়গায় আনতে পেরেছেন। "এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যে কোন একজনের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। আগে কিন্তু আমরা সকল আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করতে সফল হই নাই। আমরা আলেমদের সাথে আলোচনা করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। এখন সকলে বুঝতে পেরেছেন যে, আমরা সময় নষ্ট করেছি। এখন আর সময় নাই।" কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনের প্রধান আহমদ শফি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার পাঁচজন দশজন করে মসজিদে নামাজ পড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা শরিয়তসম্মত। জাতীয় কমিটির প্রধান হয়েও সিদ্ধান্তের কথা জানেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর রক্ত যেভাবে অন্যদের বাঁচাতে পারে লেখক এবং জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ওসমান গণি মনে করেন, বিলম্ব হলেও এখন এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। "এখন প্রয়োজনীয় এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় দর্শনের বাইরে নয়। এখানে ধর্মকে উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করা হয়নি। এই বিষয়টি সারাদেশে আলেমদের মাধ্যমে মসজিদের ইমামদের দ্রুত বোঝাতে হবে।" এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম-প্রধান দেশে, যেখানে লাখ লাখ মসজিদ, সেখানে এধরনের একটি সিদ্ধান্ত কতোটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে? ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, সারাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এসব নির্দেশ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করবে। তিনি জানিয়েছেন, দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় ৩০ হাজারের মতো মসজিদ আছে এবং এর বাইরেও অনেক মসজিদ রয়েছে। সব মসজিদের পরিচালনা কমিটিগুলো যেনো নির্দেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন এসব কমিটির সাথে যোগাযোগ করছে। আরো পড়তে পারেন: একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু, দুরকম তথ্য দিলো সরকার সিঙ্গাপুর কোয়ারেন্টিনে ২০ হাজার শ্রমিক, জাপানে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা করোনাভাইরাসে ৮০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো একটি বাঘ
করোনাভাইরাস: মসজিদে নামাজের ওপর বিধিনিষেধ সরকার কতোটা বাস্তবায়ন করতে পারবে?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে দুই বছর পর আবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ১লা জুলাই থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আবাসিক খাতে দুই চুলার খরচ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গৃহস্থালি মিটারে দাম বেড়েছে প্রতি ঘনমিটারে ১২.৬০ টাকা। রবিবার বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৭.৩৮ টাকা থেকে ২.৪২ টাকা বাড়িয়ে ৯.৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গড়ে দাম বেড়েছে ৩২.০৮ শতাংশ। সিএনজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটার ৪৩টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সারের জন্য ৪.৪৫ টাকা। হোটেল রেস্তোরায় প্রতি ঘনমিটার ২৩ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা, শিল্প ও চা বাগানে ১০.৭০ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা। এর আগের গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই গণশুনানির সিদ্ধান্তই জানানো হলো। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাসের দাম সমন্বয়ের জন্য প্রস্তাব করেছিল পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো। এসব সংস্থা গ্যাসের দাম গড়ে ১০২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল। আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার পর গ্যাসের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা জানিয়েছিলেন। বিইআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গণশুনানি ও যৌক্তিকতা বিবেচনায় গ্যাসের দামের বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। তবে গ্যাসের দামের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে এর ওপর সরকারের দেওয়া ভর্তুকির ওপরেও। এরপর গত ১১ থেকে ১৪ই মার্চ ওই প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করে বিইআরসি। সেই গণশুনানির সিদ্ধান্তই আজ জানানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই মাসে দুই দফায় এই নতুন মূল্য কার্যকর করার কথা ছিল। মার্চ মাসের নতুন মূল্য কার্যকর হলেও হাইকোর্টের আদেশে জুলাই মাসের মূল্যবৃদ্ধি স্থগিত হয়ে যায়। আরো পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব, গণশুনানিতে যা হল ভাসমান টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসের সরবরাহ এলএনজি আমদানিতে কতটা লাভ হবে ভোক্তাদের? বাংলাদেশে গ্যাসের মজুদ আর কতদিন থাকবে? বাংলাদেশে গ্যাসের মজুদ কমে আসায় এলএনজি আমদানি করতে শুরু হয়েছে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া ঢাকার কলাবাগানের বাসিন্দা বিপাশা চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''এমনিতেই সবকিছুর দাম চড়া। সীমিত আয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার মধ্যে এভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো, তাতে সংসারে সরাসরি খরচ তো বাড়বেই।" "সেই সঙ্গে দেখা যাবে যাতায়াতের ভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম আরো বেড়ে যাবে। যার শিকার হতে হবে আমাদের মধ্যে বাঁধাধরা আয়ের মানুষদের।'' মিরপুরের বাসিন্দা শাহিদা পারভিন বলছেন, '' আমাদের বাসায় গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই দাম বাড়ানোর ফলে দেখা যাবে, সেখানেও দাম বাড়বে। সেই সঙ্গে সিএনজি ভাড়া, হোটেলের খাবার, হয়তো বিদ্যুতের দামও বেড়ে যাবে। ফলে আমাদের যাতে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে চলতে হয়, তাদের ওপর নতুন করে বোঝা তৈরি করবে।'' তিনি বলছেন, ''বাজেটে নানা খাতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ জনগণের জন্য কি কোন ভর্তুকি নেই, যে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটির দামও বাড়িয়ে দিতে হবে?'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: উত্তর কোরিয়ার ভেতরে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরগুনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো একজন গ্রেপ্তার যে কারণে আজকের খেলা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বরগুনা হত্যাকাণ্ড: ঘটনাস্থলে থাকলে আপনি কী করতেন?
আবার বাড়লো গ্যাসের দাম, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৯২৫ টাকা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এই ছবিটি টুইট করেছেন। দিল্লি বলছে, তাদের এই আকস্মিক অভিযানে তারা জইশ-ই-মোহাম্মদের বহু সদস্যকে হত্যা করেছে। তারা বলছে, কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর আরো জঙ্গি হামলা চালানো হতে পারে - এই সন্দেহেই তারা জঙ্গি গ্রুপটির ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, খোলা মাঠে চালানো এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। পাকিস্তানের ভেতরে ভারত-বিরোধী জঙ্গিরা তৎপর - দিল্লির এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান বলছে, তারাও সময় মতো এই হামলার জবাব দেবে। দুটি দেশের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং চীন। ভারত ও পাকিস্তান যা বলছে আর এখনও যা নিশ্চিতভাবে জানা নেই, তা হল : বিমান হামলার খবর পাওয়ার পর ভারতে কিছু মানুষের উল্লাস। আরো পড়তে পারেন: ভারতের দাবি 'নিহত অসংখ্য', পাকিস্তানের নাকচ ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? 'ওরা যে নাটক করছে সেটা না করলেও আমি অবাক হতাম না'
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় হামলা : এখনও পর্যন্ত কী জানি, কী জানি না
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
লিবিয়ার মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। র‍্যাব-এর ৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোঃ. রহমত উল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন গতরাতে ঢাকার শাহজাদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত কামাল উদ্দিন আদম ব্যবসার সাথে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার যে ২৬ জন বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় হত্যা করা হয় তাদের মধ্যে কয়েকজনকে কামাল উদ্দিন পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মি. রহমত উল্লাহ। ২৮শে মে সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রত্যন্ত মিজদা অঞ্চলে মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে অপহরণের শিকার হন ৩৮ জন বাংলাদেশি। পরে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরও ১১ জন। র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন কামাল উদ্দিন মানব পাচারকারীদের সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: লিবিয়ায় কীভাবে হত্যা করা হলো ২৬ জন বাংলাদেশিকে? লিবিয়ায় নিহত ২৬ জনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে না
লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা: ঢাকায় পাচারকারী গ্রেফতার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ব্ল্যাকআউটের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি সাংবাদিকদের প্রতিবাদ প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে কাশ্মীরের সর্বত্র পোস্ট-পেইড মোবাইল ফোনে আবার কথা বলা যাবে, তবে মোবাইল ইন্টারনেট এখনই চালু হচ্ছে না। কাশ্মীরে গত সত্তর দিন ধরে যে 'কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট' চলছে, তাতে ওই অঞ্চলের অর্থনীতি এর মধ্যেই ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বিবিসিকে জানিয়েছেন। পর্যটন ও আপেল চাষ - কাশ্মীরে রোজগারের এই দুটি প্রধান রাস্তাই এই মৌশুমে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং এখন মৌশুমের শেষ দিকে মোবাইল ফোন চালু হলেও সেই পরিস্থিতি পাল্টানোর বিশেষ আশা নেই। গত ৫ আগস্ট সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টে যখন সরকার নাটকীয়ভাবে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, তার আগের মধ্যরাত থেকেই কাশ্মীরে থেমে গিয়েছিল সব ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। শ্রীনগরের রাস্তায় এখনও চলছে ভারতীয় ফৌজের টহল মাসখানেক আগে ধীরে ধীরে কিছু ল্যান্ডলাইন চালু করা হলেও আধুনিক জীবনের যেটা লাইফলাইন, কাশ্মীরে সেই মোবাইল ফোন অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে সোমবার বেলা বারোটা থেকে। রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রোহিত কানসাল জানিয়েছেন, "সব মোবাইল অপারেটরের পোস্ট-পেইড সেবার জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে এবং কাশ্মীর প্রদেশের দশটি জেলাই এর আওতায় আসবে।" কিন্তু গত আড়াই মাসে মোবাইল ফোন সংযোগ না-থাকায় কাশ্মীরিদের দৈনন্দিন জীবন এর মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারেননি - এমন কী কেউ কেউ প্রাণও হারিয়েছেন। দিল্লিতে কাশ্মীরি গবেষক সাদাফ ওয়ানি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আজই শুনলাম আমার এক বন্ধুর চাচা তার বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে বাড়িতে একাই ছিলেন - সে সময় চাচার হার্ট অ্যাটাক হয়।" "মোবাইল না-থাকায় তার বৃদ্ধ বাবা কাউকে যোগাযোগ করতে পারেননি, তাকে চোখের সামনে অসহায়ভাবে ছেলের মৃত্যু দেখতে হয়েছে। এটা জাস্ট গতকালের ঘটনা।" ডাল লেকে সার সার খালি শিকারা, পর্যটকদের দেখা নেই "আমি দু-তিনদিন আগেই ভ্যালি থেকে ফিরেছি, বিশ্বাস করবেন না পরিবার পরিজনের সঙ্গে সামান্য কথা বলতে কাশ্মীরিদের কী পরিমাণ কষ্ট করতে হচ্ছে!" "বাড়ি থেকে অনেকটা হেঁটে কোনও ল্যান্ডলাইন বুথে গিয়ে লাইন দেওয়া, তারপর দুমিনিট কথা বলতে তাদের একশো রুপিও চার্জ করা হচ্ছে।" "কাশ্মীরের বাইরে থাকা ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে যে বাবা-মা দিনে হয়তো দশবার কথা বলতেন, তারা এখন সপ্তাহেও একবার বলছেন কি না সন্দেহ", জানাচ্ছেন সাদাফ ওয়ানি। গত আড়াই মাসে একজন পর্যটকও পা রাখেননি কাশ্মীর উপত্যকায়, খাঁ খাঁ করছে সব হোটেল আর ডাল লেকের শিকারা। আর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কাশ্মীরের যে আপেলচাষীরা রমরমা ব্যবসা করেন, তাদের মুখও এবার শুকনো। কাশ্মীরে এবার আপেলের বাম্পার ফলন হয়েছিল। শোপিয়ানের একটি আপেল বাগানে সোপোরের আবদুল রশিদ যেমন বলছিলেন, "আপেলের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করারই তো কোনও উপায় নেই।" "কাকে দাম বলব, কীভাবেই বা বলব? অথচ এবারে বাম্পার ফলন হয়েছিল, কিন্তু হরতালের জন্য রোজগারই বন্ধ।" আর এক আপেলচাষী আবদুল দার জানাচ্ছেন, বাধ্য হয়ে তিনি আজ দশ-পনেরো পেটি আপেল সরু সরু করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিচ্ছেন, যাতে অন্তত 'শীতের সময় পশুখাদ্য হিসেবে' গরু-ভেড়াকে খাওয়াতে পারেন। সাদাফ ওয়ানি বলছিলেন, "এটাই কিন্তু আপেল তোলার পিক সিজন - আর এখানে পুরো ব্যবসাটা নির্ভর করে কোঅর্ডিনেশন বা সমন্বয়ের ওপর।" "বিভিন্ন রাজ্য থেকে ক্রেতারা এসে একটা অর্চার্ডের সব আপেল দরাদরি করে কিনে নেয়, ট্রাকে চাপিয়ে নিয়ে যায়।" সোপোরে আপেল আর ফলের পাইকারি বাজার একেবারে সুনসান "কিন্তু চাষী, পাইকার বা লরিচালকের মধ্যে যোগাযোগই তো এবার হতে পারল না।" "শ্রীনগর থেকে বারামুলা হাইওয়ের দুধারে দেখলাম আপেলের স্তূপ পড়ে পড়ে পচছে, গন্ধে টেঁকাই যাচ্ছে না!" কাশ্মীরের কার্পেট ইন্ডাস্ট্রিতেও কোনও অর্ডার আসছে না, এর মধ্যেই ৫০ হাজার লোক কাজ হারিয়েছেন বলে শিল্প মালিকরা জানাচ্ছেন। তবে আপাতত মোবাইল ফোন চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট কাশ্মীরে অধরাই রয়ে যাচ্ছে। কারণ রাজ্যের গভর্নর সত্যপাল মলিক জানিয়েছেন সেটা 'সাধারণ মানুষের চেয়ে সন্ত্রাসবাদীরাই বেশি ব্যবহার করে'।
৭০ দিন পর কাশ্মীরে ফের মোবাইল ফোন, ক্ষতি কি পোষানো যাবে?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সন্দেহভাজন ধর্ষকরা বিত্তবান পরিবারের সন্তান। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দেড় মাস পর ওই ছাত্রীরা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতেই চাইনি। এ বছরের এপ্রিল মাসের দুই তারিখের ঘটনা। ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার ব্যারাকে নিজ কক্ষে শরীরে আগুন দেন কনস্টেবল হালিমা। ওইদিনই সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, আত্মহত্যা করার আগে কনস্টেবল হালিমা তার ডায়েরিতে লিখে রাখেন যে তার আত্মহত্যার একমাত্র কারণ তারই একজন সহকর্মী পুলিশ অফিসার, যিনি হালিমাকে ধর্ষণ করেন মার্চ মাসের ১৭ তারিখে রাত দুইটায়! হালিমা আরও লেখেন যে, তার অভিযোগ গ্রহণ করেনি অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) । হালিমার বাবা অভিযোগ করেন, একে তো হালিমা নিজ ব্যারাকে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তারপর সহকর্মীরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে। এত অপমান সহ্য করতে পারেনি হালিমা। ধর্ষণের বিরুদ্ধে ঢাকায় বামপন্থীদের বিক্ষোভ আরো পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুর 'হিন্দুত্ব' বাঁচাতে তোড়জোড় এবার একটু হিসেব-নিকেশ করে নেই। কনস্টেবল হালিমা ধর্ষিত হয় মার্চ মাসের ১৭ তারিখে এবং আত্মহত্যা করে এপ্রিলের দুই তারিখে। অর্থাৎ ধর্ষিত হবার পরে হালিমা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বেঁচে ছিলেন বিচারের আশায়। বিচার না পেয়ে অবশেষে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আমি তো ভাবতেই পারছি না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োজিত একজন নারী সদস্যই যদি থানায় নিজের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে এতটা বাধার সম্মুখীন হন এবং ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, তাহলে এই পেশার বাইরে যারা আছেন তাদের পক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ করা কতটা কঠিন! কতটা কঠিন, তা বোঝার জন্য খুব দূরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। ঠিক ২৪ দিন পরের একটি ঘটনার দিকে নজর দিন। বাংলাদেশে ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাটা সত্যিই যে অনেক কঠিন, তার আরও এক নিদর্শন পাওয়া যায় গত এপ্রিল মাসেই। গত ২৯ শে এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুরে হযরত আলী নামের এক বাবা তার পালিতা শিশুকন্যা আয়েশাসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে এই সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করাটাই অনেক কঠিন, বিচার পাওয়া তো দূরের কথা! পত্রিকায় পড়লাম, হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম জানিয়েছেন, তাদের ১০ বছর বয়সী কন্যা আয়েশাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় এক ব্যক্তি। কিন্তু থানায় লিখিত অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। উল্টো, থানার এএসআই বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য হুমকি ও মামলার ভয় দেখিয়ে অভিযোগ করতে নিরুৎসাহিত করেন বলে অভিযোগ হালিমা বেগমের। এখানেই শেষ নয়। তনু হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ: ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পরেও অপরাধীকে এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। ধর্ষকের বিরুদ্ধে তো অভিযোগই লেখানো গেল না। এবার সে আয়েশাকে অপহরণ করল এবং পূর্বের ঘটনা মীমাংসা করার জন্য চাপ দিলো। হালিমা বেগম অভিযোগ নিয়ে আবারও থানায় গেলেন। ডিউটি অফিসার অভিযোগ না নিয়ে উল্টো অপমান করে হালিমা বেগমকে থানা থেকে বের করে দেয়। গত কয়েক দিন ধরে এসবই পড়ছি পত্রিকায়! হালিমা বেগমের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনাও প্রায় দুই মাস ধরে চলছে। অর্থাৎ পুলিশ একটি ধর্ষণের মামলা গ্রহণ করবে, তার জন্য প্রায় দুইমাস ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিল হালিমা বেগম এবং হযরত আলী! অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন হযরত আলী। কনস্টেবল হালিমা, হযরত আলী এবং আয়েশা বিচার না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন। তারা বেঁচে থাকতে দিনের পর দিন লড়াই করে গেলেন বিচারের আশায়, কিন্তু তাদের অভিযোগই পুলিশ গ্রহণ করেনি, বিচার পাওয়া তো দূরের কথা! অর্থাৎ ধর্ষণ হয়েছিলেন বলেই কিন্তু, এদের কেউই আত্মহত্যা করতে যায়নি। এদের সমস্ত রাগ বা অভিমান ছিল পুলিশের ওপর! আজকে হালিমারা আত্মহত্যা করেছে বলেই দুই/একজন অসৎ পুলিশের নাম শুনতে পাচ্ছি। কত হালিমাই না জানি আত্মহত্যাও করতে পারছে না, নীরবে সয়ে যাচ্ছে নিজেদের অপমান। তারা আত্মহত্যা করলেন, এখন আমরা তাদের নিয়ে লিখছি। এখন যদি পুলিশের একটু দয়া-মায়া হয়। ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবীতে নারী সংগঠনের সদস্যদের বিক্ষোভ একজন অভিযোগ করতে যাবেন,তার অভিযোগ সত্যি কী মিথ্যা তা নির্ণয় করবে আদালত। পুলিশ জনগণের সেবক। ভিকটিম অভিযোগ লেখাতে যাবে, পুলিশের কাজ অভিযোগ লিখে নেয়া। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করবে, বাদী বিবাদীর মধ্যে আপোষ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব কি পুলিশের? একজন ভিকটিম অভিযোগ করতে আসলে পুলিশ অভিযোগ নেবে না কেন? কোন ক্ষমতা বলে পুলিশ এ ধরণের ধৃষ্টতা দেখায়? বোঝেন তাহলে অবস্থা! একজন ভিকটিম থানায় যদি অভিযোগই দায়ের করতে না পারে, তাহলে বিচার পাবে কীভাবে? কোনো মতো যদি অভিযোগ লেখানো যায়, তারপর শুরু হয় বছর গণনা। বছরের পর বছর ধরে বিচারের আশায় দৌড়াতে হয় আদালতে। বাংলাদেশের আলোচিত একটি -ধর্ষণ-হত্যা মামলা হলো শাজনীনের ঘটনা। বিচার পেতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় যুগ! শাজনীন বিত্তবান পরিবারের মেয়ে। এমন সচ্ছল পরিবারের একটি মেয়ের হত্যার বিচার পেতেই যদি দেড় যুগ সময় লাগে, তবে কনস্টেবল হালিমা আর আয়েশারা আত্মহত্যা করবে না তো আর কী করবে? এই দেশ, এই দেশের আইনকানুন, এই দেশের বিচার ব্যবস্থা আজ এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে ধর্ষিতাদের আত্মহত্যাই যেন এখন একমাত্র উপায়। কেউ বিচার পাওয়ার আশায় দেড় যুগ অপেক্ষা করেন, কেউ অভিযোগই দায়ের করতে পারেন না, বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বিচার পাওয়া যে বড়ই কঠিন। তারপর আবার ধর্ষণের অভিযোগকে গুরুত্বই দেয় না এই সমাজ। কেউ খোঁজে নারীর দোষ, কেউ বলে প্রেম, কেউ আবার অনৈতিক সম্পর্ক বলে ধর্ষণের অভিযোগকে উড়িয়ে দেয়। তাহলে আর কী করার থাকে হালিমাদের? আত্মহনন ছাড়া? এজন্যই তো ধর্ষণ দিনকে দিনে বেড়েই যাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯৩ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। ধর্ষণের পরে মারা গেছেন পাঁচজন। আর কত বিচারহীনতাকে প্রশ্রয় দেবে এই দেশ? দেশে যদি মানুষ বাঁচতেই না পারে, তবে আর এই উড়াল সড়ক, মেট্রো-রেল, পদ্মা সেতু দিয়ে কী হবে? সরকার বাহাদুর, অনেক তো রাস্তা-ঘাট বানালেন, এবার একটু বিচার বিভাগের দিকে নজর দিন। আদালতগুলোর উন্নয়ন করুন, বিচারকের সংখ্যা বাড়ান যেন কোনো ভিকটিমের পরিবারকেই বিচারের আশায় দেড় যুগ অপেক্ষা করতে না হয়। কারণ বিচার হয় না বলেই অপরাধ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে সম্প্রতি একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিচারের নাম-গন্ধ নেই কেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাষ্ট্র, বলেছেন মি.ট্রাম্প সিরিয়ার ডুমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র "খুব্ গুরুত্বের সাথে" দেখছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই বিষয়ে ফরাসী ও বৃটিশ নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন মি.ট্রাম্প। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ভবিষ্যতে আরো রাসায়নিক হামলা যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন। তবে বৃটিশ পরিবহন মন্ত্রী জো জনসন জানিয়েছেন এখনই সামরিক অভিযান পরিচালনা করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিরিয়ার প্রধান সামরিক মিত্র রাশিয়া পশ্চিমাদের এই ধরনের কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন তিনি রাশিয়া ও যুক্তরোষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা "নাকচ" করে দিতে পারছেন না। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন এ মুহুর্তে প্রধান কাজ "যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রতিহত করা"। ব্রিটিশ সরকারও বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভবিষ্যতে যেন আবারো রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার না হয় সেলক্ষ্যে সিরিয়ায় "কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি"। বৃহস্পতিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন যে ডুমায় সিরিয় সরকার যে রাসায়নিক হামলা করেছে তার "প্রমাণ" আছে তাঁর কাছে। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালানোর বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ডুমায় আাক্রমণের পরদিন, রবিবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে সিরিয়া সরকারের মিত্র হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর বিদ্রোহী অধ্যূষিত ডুমায় "নৃশংসতা"র দায় বর্তায়। বুধবার তিনি এক টুইটে বলেছেন যে মিসাইল "আসছে", কিন্তু বৃহস্পতিবার আরেক টুইটে তিনি লিখেন যে আক্রমণ "কবে করা হবে" তা তিনি জানান নি। টুইটে তিনি বলেন আক্রমণ "শীঘ্রই হতে পারে, আবার নাও হতে পারে"। পরে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা সিরিয়া বিষয়ে আজ একটি বৈঠক করছি। এবিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।" ডুমায় কি হয়েছে? মানবাধিকার কর্মী আর চিকিৎসা সেবাদানকারীরা জানিয়েছে সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় ডুমায় শনিবার অনেকে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয় প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার। রাসায়নিক হামলায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) জানিয়েছে রাসায়নিক হামলার প্রমাণ সংগ্রহ করতে ডুমায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া নমুনা থেকে ক্লোরিন ও নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারের সত্যতা যাচাই করা গেছে। রাশিয়া কি বলছে? রাসায়নিক আক্রমণের অভিযোগ পশ্চিমাদের "প্ররোচনামূলক" আচরণ বলে দাবী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর ওপর মিসাইল হামলা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে এবং পাল্টা আক্রমণও করা হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই এই অস্থির অবস্থার উন্নতি হবে।
সিরিয়া আক্রমণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘শীঘ্রই’ - ট্রাম্প
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো এসব দলের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট, মুসলিম লীগ, জাকের পার্টি, সম্মিলিত ইসলামী জোটসহ আরো কয়েকটি দল। বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে তখনই এসব সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংলাপের মাধ্যমে কী দাবি আদায় করতে চাইছে ইসলামী দলগুলো - এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী জানান, নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি নিয়ে বিরোধী জোটগুলোর সাথে সরকারের দ্বন্দ্বের সমাধান খোঁজার উদ্দেশ্যে এই সংলাপ। "নির্বাচনকালীন সরকারের যে দাবি বা বিতর্ক তা সমাধানের লক্ষ্যে আইনগত ও সাংবিধানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা বাঞ্ছনীয়।" তিনি মন্তব্য করেন, এই বিষয়ে একটি স্থায়ী আইন করা প্রয়োজন যেন ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় এবিষয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি না হয়। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে মি-টু? মডেল প্রিয়তির অভিযোগে ফেসবুকে আলোড়ন 'সংবিধানসম্মত' সমঝোতাতেই রাজী হবে ঐক্যফ্রন্ট? নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে সন্দেহ আওয়ামী লীগের আটই নভেম্বর তফসিল, বিরোধীদের দাবি অগ্রাহ্য ইসলামী দলগুলোর দাবি কী? মি. নেজামী বলেন, "সারা দেশে হাজার হাজার আলেম ওলামা মামলায় জর্জরিত, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো তাদের এসব মামলা যেন প্রত্যাহার করা হয়।" নির্বাচনকে সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে সেই দাবিও জানাবে ইসলামী দলগুলোর নেতারা। মি. নেজামী নিশ্চিত করেন, ইসলামী জোটগুলো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে। "প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ আরো অনেক দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বা সংসদ রেখেই নির্বাচন হওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। আমাদের দেশেও ঐ পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।" পরবর্তীতে নির্বাচনের সময় যেন এই প্রশ্নে আর বিতর্ক তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারসহ একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মি. নেজামী। নির্বাচনের আগে কয়েকটি বিরোধীদলের সাথে সংলাপ সীমাবদ্ধ না রেখে সব রাজনৈতিক দলের সাথে পরিচালনা করার সিদ্ধান্তকেও ইসলামী ঐক্যজোটগুলোর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানান মি. নেজামী।
সংলাপ: সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রস্তুত কয়েকটি ইসলামী দল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
অনেক দেশেই তেলাপোকা খাওয়া হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, তেলাপোকার দুধ আপনার জন্য হতে পারে বিশেষ উপকারী - কারণ এতে গরুর দুধের চেয়েও অনেক বেশি শক্তি রয়েছে, রয়েছে অনেক বেশী অ্যামিনো অ্যাসিড। তেলাপোকার পেট কেটে দুধ সংগ্রহ করার চিন্তা করাই প্রায় অসম্ভব। যেমনটা সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন। প্যাট পার্কিন্স টুইট করেছেন, "প্লিজ, তেলাপোকার দুধ যেন বাস্তবে পরিণত না হয়।" তেলাপোকার দুধ নিয়ে দুশ্চিন্ত।। জেডি প্যান্টস মন্তব্য করেছেন: "আমার ১৫ ফুটের মধ্যে কেউ যদি 'তেলাপোকার দুধের' কথা চিন্তাও করে তাহলে আমার এমন প্যানিক অ্যাটাক হবে যে সেটা (ভূমিকম্প মাপার) রিখটার স্কেলে দেখা যাবে।" কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে যেসব চ্যাট চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে: তেলাপোকার দুধ কিভাবে সংগ্রহ করা হয়? এই দুধ সংগ্রহ করা হয় তেলাপোকার একটি বিশেষ জাত -প্যাসিফিক বিট্ল ককরোচ থেকে। এই তেলাপোকা ডিম পাড়ে না। এরা বাচ্চা দেয় এবং এর দেহে দুধ তৈরি হয়। তবে এই দুধ তরল আকারে থাকে না। তাই 'দুধ দোয়ানোর' কোন ব্যাপার থাকে না। বিজ্ঞানীরা তেলাপোকার পেট কেটে তার মধ্য থেকে স্ফটিক আকারে থাকা এই দুধ সংগ্রহের কথা বলছেন। তেলাপোকার দুধ: শিল্পীর কল্পনায়। তেলাপোকার দুধ নিয়ে গবেষণা করছে যেসব বিজ্ঞানী তাদের একজন হলেন ড. লিওনার্ড শ্যাভাজ। তিনি জানাচ্ছেন, বাণিজ্যিকভাবে তেলাপোকার দুধ সংগ্রহ করতে হলে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম দুধের জন্য আপনাকে ১০০০ তেলাপোকা হত্যা করতে হবে। "তবে এই দুধ দিয়ে আইসক্রিম তৈরির মনেও আনবেন না," বলছেন তিনি। বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য হিসেবে তেলাপোকা বেশ জনপ্রিয়। পূর্ব এশিয়ায় ভ্রমণে গিয়ে অনেকেই স্ট্রিট ফুড হিসেবে ভাজা তেলাপোকার স্বাদ নিয়েছেন। চেখে দেখেছেন তেলাপোকার কাবাব। তাই ভবিষ্যতে আপনার খাবার টেবিলে তেলাপোকার দুধ পরিবেশন করা হবে না, একথা হলফ করে বলা যায় না। আরও দেখুন: 'কারাগারকে নিরাপদ ভাবছে মাদক মামলার আসামীরা' সামরিক শক্তিতে মার্কিন ভাবনারও সীমা ছাড়িয়েছে চীন অনলাইনে তুমুল যুদ্ধে কাতার ও সৌদি আরব
সুপারফুড: আসছে তেলাপোকার দুধ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সেরেনা উইলিয়ামস ও তার কন্যা অ্যালেক্সিস , ডিজে খালেদ ও পুত্র আসাদ এবং মাইকেল ফেলপস, সাথে ছেলে বুমার। এও জানা যায় যে, ট্রু থম্পসন নামের সেই শিশুর ইতোমধ্যেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। শিশু ট্রু একা নয়, আমেরিকান ডিজে খালেদের ছেলে আসাদ এবং টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামসের মেয়ে অ্যালেক্সিস অলিম্পিয়া ওহানিয়ানেরও এই ক্ষুদে বয়সেই নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম আইডি রয়েছে। কিন্তু আপনার নিজের সন্তানের যখন এসব বিষয়ে অনুমতি দেয়ার বয়েস বা বোঝার ক্ষমতা হয় নি, তখন তাদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা বা পোস্ট দেয়া কতটা সঠিক কাজ? বিষয়টি যতটা সোজাসাপ্টা মনে হচ্ছে আসলে ততোটা নয়। কিম কারদাশিয়ানের কন্যা ট্রুর অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও পোস্ট করার আগেই তার অনুসারীদের সংখ্যা প্রায় দেড়-লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সেখানে তার মা নিজের অ্যাকাউন্টে ৩ হাজারের বেশি বার পোস্ট করেছেন। ট্রুর সম্পর্কীয় বোন ড্রিম-এর জন্ম হয় ২০১৬ সালে এবং তারও নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে। যার ফলোয়ার প্রায় দশ লাখ। যদিও কিম কারদাশিয়ান এবং ব্লাচ চায়নার সন্তান ড্রিমের আইডি থেকে এখনো কোনও পোস্ট নেই। কিম কার্দাশিয়ান কন্যার নাম ঘোষণাও করা হয় ইনস্টাগ্রামে। অন্যদিক ডিজে খালেদের পুত্র আসাদ খালেদের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিনশোর বেশি পোস্ট করা হয়েছে এবং এক বছর বয়সী শিশুটিকে এরইমধ্যে ১৮ লাখ মানুষ অনুসরণ করছে ইনস্টাগ্রামে। তার ইনস্টাগ্রাম ফিডে মূলত পারিবারিক ছবি বেশি। একইভাবে তারকা অলিম্পিক সাঁতারু মাইকেল ফেলপস এর ছেলে বুমার ফেলপসের ইনস্টাগ্রাম পেইজেও তার ক্ষুদ্র জীবনের বিভিন্ন ছবি নিয়ে পোস্টার প্রদর্শনী করা হয়েছে । ইনস্টাগ্রামের নিয়মকানুন অনুসারে এর ব্যবহারকারীদের বয়স নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তারকারাই সেই নিয়ম মানছেন না। সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের নাম ব্যবহার করে এ ধরণের অ্যাকাউন্ট খোলার প্রভাব ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক? এ বিষয়ে বিবিসির বিনোদন বিভাগের ফেসবুক গ্রুপ সদস্যদের মতামত চাওয়া হয়েছিল। তারা জানান, কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শিশুদের ছবি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়ার চেয়ে ভিউয়ার্সরা বাচ্চার নামে নিজস্ব অ্যাকাউন্টকে বেশি প্রাধান্য দেবো সেরেনা কন্যা অ্যালেক্সিস এর নামে খোলা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া পোস্ট বিবিসি নিউজ এন্টারটেইনের ফেসবুক পাতায় এমনই মন্তব্য করেছেন একজন পাঠক। নিকোল জেমস নামে আরেকজন লিখেছেন "এটি এমন একটি স্থান হবে যেখানে শিশুর অজস্র অগণিত ছবিতে ভরা থাকবে যা আমার বন্ধুদের কোনোভাবে বিরক্ত করবে না এবং সেটি আমার জন্য হবে ছোট-খাটো স্মৃতি সংরক্ষণাগার। আমি চাইলে অ্যাকাউন্টটি একান্ত ব্যক্তিগত রাখতে পারছি।" জোভনি ভিনসেন্ট লিখেছেন, তিনি কখনোই তার শিশুর জন্য ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। তার মতে, সন্তানকে জিনিষপত্রের মত ব্যবহার করা ভয়ংকর ব্যাপার। তবে তিনি এটাও ভাবেন যে কিছু বিখ্যাত ব্যক্তির সন্তানরা কোন প্রাইভেসি ছাড়াই বেড়ে উঠছে , সুতরাং এটা কি আদৌ কোন বিরাট ব্যাপার? প্রকৃতপক্ষে এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছেন যারা সচেতনভাবে তাদের সন্তানদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন না। অথবা যদি তা করেনও তাহলে সন্তানদের মুখের ছবি অস্পষ্ট করে দেয়া হয়। প্যারেন্টিং ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার জেন ওয়ালসাও, তিনি নিজের এবং তার দুই ছেলের ছবি কয়েক বছর ধরেই ইনস্টাগ্রামে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, যখনই কিছু পোস্ট করছেন সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে বিশেষ করে যখন তারা বড় হচ্ছে। তার সন্তানদের বয়স ১২ ও ১৩ বছর। জেন কখনো তার সন্তানের প্রকৃত নাম ব্যবহার করেননি। "আমি কখনোই সামাজিক মাধ্যমে আমার ছেলেদের নগ্ন অবস্থার কিংবা টয়লেট করছে এমন অবস্থার ছবি দেব না। কখনোই তাদের পুরো নামও প্রকাশ করিনি। (তাদের ম্যাক্সি এবং মিনি বলে ডাকা হয়)।" মাইকেল ফেল্পস এর ছেলের অ্যাকাউন্ট "কিন্তু এখন আমি চাইবো যে তারা বিচার বিবেচনা করে নিজেদের কাহিনী নিজেরাই বলুক।" বড় ছেলের নিজস্ব আইডি আছে উল্লেখ করে জেন বলেন, সেখানে কেবল ফুটবল বুটের চারটি ছবি আপলোড করা হয়েছে। জেন সতর্ক করে বলেন, "অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, তারা এই ডিজিটাল ফুট-প্রিন্টের যুগে প্রথম প্রজন্ম হিসেবে বেড়ে উঠছে যে দুনিয়া তারা তৈরি করেনি। যদি আমার ছেলেরা তাদের সম্পর্কিত সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলতে বলে তাহলে সেটা অবশ্যই তাদের অধিকার।" কারো আয়-রোজগার অনলাইন জীবনের ওপর নির্ভর করলেও প্রাইভেসি রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানান জেন। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর ডক্টর ভিক্টোরিয়া ন্যাশ বলেন, "সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের কিছু পোস্ট করার আগে এর প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে ভাবা দরকার। তার মতে এখন লোকজন আগের চাইতে সচেতন হচ্ছে, কিন্তু আগে তারা হয়তো যেনতেনভাবে বাচ্চাদের ছবি তুলে দিত।" বাচ্চাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু একটি শিশুর আইডেন্টিটি বা পরিচয়ের মালিকানা কার? "ইন্টারনেট থেকে কোনকিছু ডিলিট করা বা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা অসম্ভব। পাঁচ বছরের মধ্যেও অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে ফেলা হলেও কেউ হয়তো স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারে। সুতরাং কোন ধরনের ছবি পোস্ট করতে যাচ্ছেন তা আগেই ভাবতে হবে-পরে কি তা বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে?" বলছিলেন ডক্টর ন্যাশ। ডিজে খালেদের পুত্র আসাদ খালেদের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিনশোর বেশি পোস্ট করা হয়েছে এবং একবছর-বয়সী শিশুটি এরিমধ্যে ১৮ লাখ মানুষ তাকে অনুসরণ করছে ইনস্টাগ্রামে। তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো অন্য বাচ্চাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে বা অনলাইনে পোস্ট করার ক্ষেত্রে তাদের বাবা-মায়ের কাছে অনুমতি চান, কিন্তু আবার অনেকেই ছুটির দিনে বাচ্চাদের জ্বেড়াতে যাওয়ার ছবি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। বিষয়টির সাথে যখন সেলিব্রেটিরাও জড়িয়ে আছেন তখন তাদের মোটিফ কি সেটা ভাবতে হবে। "আমি কি আমার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর জন্য সন্তানকে ব্যবহার করছি ? হয়তো আমি সে পরিস্থিতিতে নেই কিন্তু তারপরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।"
ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রিটিদের বাচ্চারা: কতটা যৌক্তিক?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শব্দের চেয়ে বিশ গুণ গতিতে চলতে সক্ষম অত্যাধুনিক মিসাইলের প্রথম রেজিমেন্ট মোতায়েন করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় মোতায়েনের স্থান জানানো হয়নি। তবে এর আগে দেয়া ইঙ্গিত থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি উরাল অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই মিসাইলগুলো শব্দের চেয়ে বিশগুণ গতিতে ছুটতে পারবে এবং রাশিয়াকে অন্যান্য দেশের চেয়ে সামনে এগিয়ে নিয়েছে। এসব মিসাইলে গাইড সিস্টেম থাকছে যা এগুলোর চলার সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং প্রতিরোধ করা অসম্ভব করে তুলবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, '' অ্যাভনগার্ড হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকল নামের এই প্রযুক্তি ২৭শে ডিসেম্বর মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ চালু করা হয়েছে।'' আরো পড়ুন: বিশ্ব কি নতুন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার মুখে? রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র: বাস্তব না কল্পনা ? নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দেবে সামরিক ভারসাম্য স্নায়ুযুদ্ধ আবার ফিরে আসছে বিশ্বে? ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাভনগার্ড মিসাইলের পরীক্ষা দেখছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিন গত মঙ্গলবার মি. পুতিন বলেছিলেন, এই মিসাইল ব্যবস্থাটি বর্তমান বা ভবিষ্যতের যেকোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ''বিশ্বের আর কোন দেশের কাছে সুপারসনিক অস্ত্রও নেই, আন্তঃ-মহাদেশীয় মিসাইল দূরের কথা।'' ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বার্ষিক স্টেট-অফ-দি-নেশন বক্তৃতার সময় এই মিসাইলের উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্ত্রটির একটি পরীক্ষা চালানো হয়, যাতে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে মিসাইল। অ্যাভনগার্ড নামের এই মিসাইলটি দুই মেগাটন আকৃতির একটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিসাইলটি ছবি প্রকাশ করেছে। তবে অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এটির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, ''অ্যাভনগার্ড মিসাইল সিস্টেমের ক্ষমতা সম্পর্কে রাশিয়ার দাবি নিয়ে তারা কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে যাবে না।'' যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নিজস্ব হাইপারসনিক মিসাইল কর্মসূচী আছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব পাশ শীত: সারাদেশে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে কাবা অবরোধ: সৌদির ইতিহাস পাল্টে দেয়া ঘটনা দল আর সরকার, লাইন টানছে আওয়ামী লীগ? অ্যাভনগার্ড মিসাইল নতুন স্টার্ট চুক্তির আওতায় গত ২৬শে নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মিসাইল ব্যবস্থাটি পরিদর্শন করার সুযোগ দেয় রাশিয়া। ওই চুক্তির আওতায় দুই দেশ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একমত রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এই নতুন স্টার্ট চুক্তি, যার মেয়াদ রয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ বছরের অগাস্ট মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ১৯৮৭ সালে করা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি (আইএনএফ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এমন একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি চান, যেখানে রাশিয়া ও চীন স্বাক্ষর করবে।
হাইপারসোনিক অ্যাভনগার্ড মিসাইল সিস্টেম: শব্দের চেয়ে বিশগুণ গতির মিসাইল মোতায়েন করেছে রাশিয়া
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর আগে পোলিটব্যুরোতে প্রেসিডেন্ট এর উত্তরসূরির রাখার প্রথা দেখা গেছে। পোলিটব্যুরোর সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যারা মূলত দেশটির নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এই পাঁচজন ছাড়া মি. শি এবং লি কিচিয়ান টিমে আগে থেকেই আছেন। এই টিমের সদস্যরাই পরবর্তী ৫ বছরের জন্য ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করবে। এদিকে এই টিমে মি. শি'র কোন উত্তরাধিকারী না থাকায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে কিভাবে তিনি শাসন কাজ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। কমিটিতে যে ছয়জন রয়েছেন তাদের সবার বয়স ৬০ বছরের উপরে।বিবিসির চীনা বিষয়ক সম্পাদক বলেছেন আগামী পাঁচ বছর মেয়াদ কালের মধ্যে তাঁদের অবসরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কমিটিতে তরুণ কোনো নেতা না থাকা এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে যে মি. শি হয়ত পাঁচ বছরের বেশি মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকবেন। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে চীনের অনেক নেতাই নিজেদের উত্তরসূরিদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির চলমান কংগ্রেসে নিজের এক ভাষণে শি জিনপিং বলেছেন, উন্নয়নের একটি নতুন যুগে চীন প্রবেশ করতে যাচ্ছে। তিনি বলছিলেন " আমাদের অবশ্যই এমন হতে হবে যাতে লোকে অনুকরণীয় মনে করে। নতুন যুগে আমরা, পার্টিকে গঠনের কথা মাথায় রেখে আমরা নিজেদের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন করবো। নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্টমণ্ডিত সমাজতন্ত্রের জন্য আমরা অবশ্যই নিজেদেরকে উৎসর্গ, এবং নিজেদের প্রজ্ঞা ও শক্তিকে পার্টি ও দেশের কাজে লাগাবো"। কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের একেবারে শেষ দিকে ঘোষণা করা হয় স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং ২৫-সদস্য বিশিষ্ট পোলিটব্যুরো কমিটি। কংগ্রেসে আসা ডেলিগেটরা বৈঠকে বসে সেন্ট্রাল কমিটি নির্বাচন করেন। এই ডেলিগেটরা, যারা সংখ্যায় প্রায় দু'শো, সাধারণত বছরে দুইবার বৈঠকে বসেন। গতকাল মঙ্গলবার মি. শি জিনপিংয়ের পক্ষে বিপুল ভোট দিয়ে তাকে বিরল এক সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের পর্যায়েই এখন মনে করা হচ্ছে শি জিনপিং এর স্থান। আরো পড়ুন: ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ চীনের শি জিনপিং এখন মাও জেদং এর সমকক্ষ? রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার পরিকল্পনা সফল হবে? ‘১৩ কোটির বেশি মেয়ে এখনও স্কুলে যেতে পারছে না’
প্রথা ভেঙ্গে চীনের শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশ একদিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যায় আবারো নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে মারা গেছেন ৬৩ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৯জন পুরুষ এবং ২৪ জন নারী। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯৪৪৭ জন। যাদের মধ্যে ৭,০৮২ জন পুরুষ এবং ২,৩৬৫ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪,৬৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২২.০২ শতাংশ। আরো পড়তে পারেন: যে পাঁচটি কারণে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের 'লকডাউন' করোনায় আক্রান্ত হলে মানসিক অবসাদ ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি তৈরি হয় হাসপাতালে বেড বসানোর এক ইঞ্চি জায়গাও নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে লকডাউন 'অকার্যকর' হয়ে পড়ছে এনিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো সংক্রমণ সাত হাজারের বেশি হলো। রবিবার প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্ত সাত হাজার অতিক্রম করেছিল। গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল। তবে এবছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কিছুদিন দশের নিচে ছিল। কিন্তু তাতেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বগতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
করোনা ভাইরাস: একদিনে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত সাড়ে সাত হাজার ছাড়ালো
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
গ্রামের সাত-আটটি পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা পুলিশ আটকের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামলার ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু'টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৮০ জনের নাম দিয়ে এবং কয়েকশ' অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই মামলা হওয়ার পর পুলিশ সন্দেহভাজনদের আটকের জন্য অভিযান চালায়। শাল্লা থানার পুলিশের কর্মকর্তা উদয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত সারারাত পুলিশ অভিযান চালিয়েছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে। আটকদের সুনামগঞ্জ সদর থানা, দিরাই এবং শাল্লা থানায় পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গ্রামটিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং র‍্যাবের দু'টি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তছনছ করে দেয়া একটি ঘর তবে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, গ্রামের বাসিন্দাদের আতংক এখনও কাটেনি। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত ১৫ই মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এক ধর্মীয় সমাবেশে হেফাজত ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এর পরদিন মামুনুল হককে নিয়ে গ্রামটির একজন হিন্দু যুবক স্ট্যাটাস দেয়-এই অভিযোগ তুলে হেফাজতে সেখানে বিক্ষোভ করেছিল। আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ার বর্ণনা দুই নারীর সুনামগঞ্জের হিন্দু গ্রামে হামলা: মামলায় ৮০ জনের নাম, নেই গ্রেপ্তার, পরিস্থিতি থমথমে সেই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে হেফাজতে ইসলাম হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবারের এই হামলায় গ্রামটিতে হিন্দুদের ৮৮টি বাড়ি-ঘর এবং সাত আটটি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গচ্ছিত থাকা টাকা এবং স্বর্ণ লুট করেছে হামলাকারীরা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: লকডাউনের পরেও কেন শিশু জন্মের হার বাড়েনি সময় মতোই পাওয়া যাবে সিরামের টিকা- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সমুদ্রে টুনা জাতীয় মাছ নিয়ে সমীক্ষা করবে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ সংক্রমণ ঠেকাতে আবার লকডাউন চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর
সুনামগঞ্জে হিন্দু গ্রামে হামলা: রাতভর পুলিশের অভিযানে সন্দেহভাজন অন্তত ২৪ জন আটক
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গো-রক্ষার নামে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভ। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে মেরে ফেলা, গোরক্ষকদের তাণ্ডবে পহেলু খান বা উমের খানদের মৃত্যু, কিংবা হরিয়ানায় কিশোর জুনেইদ খানকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা - এই জাতীয় বহু ঘটনার উল্লেখ করে তারা সরকারের কাছে এর প্রতিকার দাবি করেছেন। আর এই চিঠিতে সই করেছেন এমন ৬৭জন, যারা সবাই কর্মজীবনে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। কিন্তু কেন এই সাবেক আমলারা এমন একটি চিঠি লেখার মতো বিরল পদক্ষেপ নিলেন? নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্দেশে লেখা এই খোলা চিঠিতে যারা সই করেছেন তারা প্রত্যেকেই ভারতের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, পুলিশ ও ফরেন সার্ভিসের প্রাক্তন কর্মকর্তা। সাবেক আমলা, কূটনীতিক বা পুলিশ অফিসাররা অবসরের পর একজোট হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, এমনটা ভারতে খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু এই উদ্যোগের অন্যতম প্রধান কারিগর ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন বলছিলেন সরকারের নীরবতাই তাদের বাধ্য করেছে এই ধরনের চিঠি লিখতে। মি সেন জানাচ্ছেন, প্রথমে তারা আট-দশজন মিলে গত জুন মাসে সরকারকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লেখেন। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কেন্দ্রে গরু পরে দেখা যায়, প্রতিরক্ষা বাহিনীরও শ'খানেকেরও বেশি সাবেক কর্মকর্তা একই ধরনের একটি চিঠি প্রস্তুত করেছেন। তখন থেকেই দুই গোষ্ঠী হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচী নিচ্ছেন। ''আসলে গত দুচার বছরে যে সব কাণ্ডকারখানা চলছে তাতে আর চুপ থাকা যাচ্ছে না। আমরা আমাদের কাজ করছি - যদিও সরকারের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাইনি। তবে বহু লোক আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন, সমর্থন করছেন'', বলছিলেন মি সেন। ভারতে মুসলিম-খ্রিষ্টানদের মতো সংখ্যালঘুরা যেভাবে ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটাই যে এই চিঠিতে সই করতে তাকে প্রণোদিত করছে, বিবিসি বাংলাকে স্পষ্টভাবেই তা বলছিলেন মহারাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ-প্রধান মীরন বোরওয়ানকার। "ইদানীং আমি অনুভব করছি সংবিধান যে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলে এ দেশে তা মানা হচ্ছে না। সংখ্যালঘু সমাজ যে অস্বস্তিতে আছে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে, তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের সাহায্য করছে না,'' মিঃ বোরওয়ানকার বলেন। ''আমি এমন একটা দেশ দেখতে চাই, যেখানে সব ধর্ম, সব জাতির সমান অধিকার নিশ্চিত হবে - কিন্তু সেটা আজকাল আর হচ্ছে না বলেই আমাদের এখানে সই করতে হল।" ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আগেও ঘটেছে, কিন্তু এখন যেভাবে দোষীরা পার পেয়ে যাচ্ছে ও প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত নীরব থাকছেন, সেটাই আসলে সবচেয়ে উদ্বেগের - বলছিলেন অর্ধেন্দু সেন। তার কথায়, "এখন মানুষে-মানুষে যেভাবে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে, এ জিনিস আমরা ভারতে আগে কখনও দেখিনি। একের পর এক উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটছে। ''তবে ঘটনাগুলো যত না, আমরা তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন ওই সব ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এই সব ঘটনায় হয় নীরব থাকছেন, নয়তো দায়সারা জবাব দিচ্ছেন'', মিঃ সেন কলেন। 'মুসলিম নিধন বন্ধ করো': উগ্রপন্থীদের হাতে নিহতদের ছবি নিয়ে জামিয়াত উলেমা-এ-হিন্দ সংগঠনের বিক্ষোভ। সাবেক কূটনীতিক এবং বাংলাদেশ ও নেপালে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জিও এই চিঠিতে সই করেছেন। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিপদ নিয়ে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই, এটাই তার গভীর আক্ষেপ। "পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই নেই। আর যেভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ তৈরি করা হচ্ছে, তার পরিণতি যে দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে ভাবলে শিউড়ে উঠতে হয়'', মিঃ মুখার্জি বলেন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনও বিশেষ ঘটনা তাকে বেশি করে নাড়া দিয়েছে? দেব মুখার্জি বলেন, "সবগুলো ঘটনাই তো শকিং, এগুলো থেকে তো বাছবিছার করা যায় না। তবু বলব গত জুনে যেভাবে জুনেইদ ছেলেটাকে মারা হল ... ভাবুন, ঈদের বাজার করে ফিরছে একটা বাচ্চা ছেলে, তাকে যেভাবে ..." ''কিছুতেই মানতে পারি না, মানতে পারি না..." বলতে বলতে ধরে আসে মিঃ মুখার্জির গলা। ''আসলে যে-দেশে ষোলো বছরের এক সংখ্যালঘু কিশোরকে ছুরি মেরে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়, তার পর আর কারোরই চুপ থাকা সাজে না'', তিনি কলেন। কিন্তু রাষ্ট্র যে এই সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের আবেগ বা উদ্বেগের দাম দিতে প্রস্তুত, এখনও পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে তেমন কোনও আভাস নেই।
ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন: 'দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে ভাবলে শিউড়ে উঠতে হয়'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
দুইদিন ব্যাপী সম্মেলনে নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। দলের অন্য পদেও কোন চমকই ছিল না। আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নিজ নিজ জেলায় ফিরে গেছেন। প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ বা বিরোধিতা করেননি। তবে তাদের অনেকেই একান্তে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। উত্তরাঞ্চলীয় একটি জেলার একজন কর্মী বিবিসিকে বলছিলেন, "আমরা যেরকম তারুণ্যনির্ভর দল দেখতে চেয়েছিলাম, সেরকম আমরা দেখতে পাইনি। এখানে অভিজ্ঞদের জায়গা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তৃনমূলের নেতাকর্মীদের আশা ছিল নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়টা যদি আরেকটু বেশি হত, তাহলে ভালো হতো।" তিনি আরো বলছিলেন, "সরকারে যারা আছেন তাদের দল পরিচালনার থেকে সরিয়ে দেবার কাজটি কিছুটা হয়েছে, কিন্তু এখানে যদি প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও জেলা পর্যায়ের প্রবীণ নেতাদের বেশি জায়গা দেয়া যেত, সেটা দলের জন্য ভালো হত।" তৃনমমূলের অনেকে এখনো আশা করে আছেন, যে পদগুলো এখনো ঘোষণা করা হয়নি, সেখানে তাদের প্রত্যাশামাফিক নেতা তারা পাবেন। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেত্রী বলছেন, "একটা দল তো কেবল নতুনদের নিয়ে চালানো যাবে না। যারা প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ তাদের মধ্যে যাদের মূল্যায়ন হয়নি, আগামীতে হবে বলে আমরা আশা করি।" আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন: নতুন কমিটিতে যারা রয়েছেন 'শুদ্ধি অভিযান': কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা? পরিবর্তনের আভাস ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের আগে দলটির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েকটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সম্মেলনের আগে দলে শুদ্ধি অভিযান চালানো এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল দলটি। সে প্রেক্ষাপটে মূল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও পরিবর্তনের আভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, সে আভাসের প্রতিফলন দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরিন বলছেন এর মাধ্যমে দলটি এক ধরণের বার্তা দিয়েছে। তিনি বলেন, "দুয়েকটি পরিবর্তন ছাড়া বড় কোন পরিবর্তন না করার মাধ্যমে যেটা বোঝা যায় যে, এই দফায় আওয়ামী লীগ আর কোন ঝুঁকি নিতে চায়না। দলে ইতিমধ্যেই যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের ওপরই ভরসা রাখতে চায় দলটি।" 'আওয়ামী লীগ সব সময় দক্ষ, যোগ্য এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি,' মাহবুবুল আলম হানিফ আওয়ামী লীগ কী বলছে আওয়ামী লীগ বলছে, দলের মধ্যে শুদ্ধি কার্যক্রম চালানো এবং নানা ধরণের সংস্কারের বিষয়টি চলমান। তাছাড়া, আওয়ামী লীগের মত একটি বড় রাজনৈতিক দলে রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, তৃনমূলের পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দকেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে। যে চমক অনেকে ধারণা করেছিলেন, তা কেন দেখা গেলনা? এই প্রশ্নে মি. হানিফ বলেন, "রাজনৈতিক দলে বড় চমক হয় না। আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে, যারা রাজনীতির মাঠে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওপরে উঠে এসেছেন তারাই নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সব সময় দক্ষ, যোগ্য এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।"
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি: পরিবর্তনের আভাস থাকলেও হয়নি কেন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
'মি-টু' আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিলেন আসিয়া আর্জেন্টো নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, আসিয়া আর্জেন্টো তার বিরুদ্ধে যেন যৌন হামলার অভিযোগ না করা হয়, সেজন্যে অভিনেতা এবং রক সঙ্গীত তারকা জিমি বেনেটকে ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। জিমি বেনেট তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার পর আসিয়া আর্জেন্টো এই অর্থ দেন। শিশু অভিনেতা জিমি বেনেটের সঙ্গে একটি ছবিতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আসিয়া আর্জেন্টো নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার এক হোটেলে। তখন আসিয়া আর্জেন্টোর বয়স ছিল ৩৭ আর জিমি বেনেটের বয়স ১৭ বছরের সামান্য বেশি। আসিয়া আর্জেন্টো হোটেল কক্ষে জিমি বেনেটকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় আইন অনুযায়ী যৌনকর্মে সম্মতির ন্যূনতম বয়স হচ্ছে ১৮ বছর। জিমি বেনেটের বয়স এখন ২২ এবং আসিয়া আর্জেন্টোর ৪২। এই অভিযোগের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য নিউ ইয়র্ক টাইমস আসিয়া আর্জেন্টো এবং তার প্রতিনিধির সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পায়নি বলে জানাচ্ছে। অন্যান্য খবর: রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাওয়া? পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক নিয়ে বিপদে জাপান বাংলাদেশে অর্গানিক গরুর চাহিদা কেন বাড়ছে? যে চুক্তির অধীনে জিমি বেনেটকে চুপ থাকার বিনিময়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার দেয়া হয়েছে, তা এ বছরের এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত করা হয় বলে টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগের সমর্থনে বিছানায় শুয়ে দুজনের তোলা একটি সেলফি এবং আরও কিছু ডকুমেন্ট নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি করছে। আসিয়া আর্জেন্টোর নিজের বিরুদ্ধেই এবার যৌন হামলার অভিযোগ উঠেছে জিমি বেনেট এবং আসিয়া আর্জেন্টো ২০০৪ সালে 'দ্য হার্ট ইজ ডিসিটফুল এবাভ অল থিংস' বলে ছবিতে কাজ করেন। ছবিতে আসিয়া আর্জেন্টো অভিনয় করেছিলেন জিমি বেনেটের মায়ের ভূমিকায়। 'মি-টু' আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন আসিয়া আর্জেন্টো ছিলেন এর সবচেয়ে শক্তিশালী কন্ঠগুলোর একটি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২১ বছর বয়সে যখন তিনি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যান, তখন হার্ভি ওয়েনস্টেইন তাকে একটি হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করেন। আসিয়া আর্জেন্টো যখন হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন, তারপরই জিমি বেনেট আসিয়া আর্জেন্টোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
'মি-টু' আন্দোলনের সূচনাকারী অভিনেত্রী আসিয়া আর্জেন্টোর বিরুদ্ধেই এবার যৌন অসদাচরণের অভিযোগ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ঘরবাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছিল এই পরিবারটি সেক্ষেত্রে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য অনুসারে, ১৯৬০-২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩টি বড় সাইক্লোনের ঘটনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে ২০০৭ সাল থেকে। এর আগে একটা সময় ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের নামকরণ হতো না। আরো পড়ুন: শক্তিশালী হচ্ছে ফণী, ৫-৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড়ের ফণী নামটি কোথা থেকে এলো? যে কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে স্মৃতিতে সাইক্লোন সিডর বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০৭ সালে সিডরের পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়গুলোকে 'সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম' বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম স্পষ্ট নামকরণ করা হয়। ২২৩ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা এবং ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিয়ে আসা সেই ঘূর্ণিঝড় ছিল সিডর যাকে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম উইথ কোর অব হারিকেন উইন্ডস (সিডর) নাম দেয়া হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ ৫টি ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের একটি ৭০ এর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয় ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়কে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলেন, সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ছিল ১৯৭০ এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়। এরপরে তিনি সাইক্লোন সিডরের কথা উল্লেখ করেন। ১৯৭০ এর ঘূর্ণিঝড়: ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর সবোর্চ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রামে আঘাত হানা এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ১০-৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। যে হিসেব পাওয়া যায় তাতে ১৯৭০ এর সালের প্রবলতম ঘূর্ণিঝড়ে ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়। সেসময় ১০-৩৩ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল এবং অসংখ্য গবাদি পশু এবং ঘরবাড়ি ডুবে যায়। সাবেক পরিচালক শাহ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, অনেকে মনে করেন মৃতের সংখ্যা আসলে ৫ লাখেরও বেশি ছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'দরকার হলে পার্লামেন্টে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসবো' মার্গারেট থ্যাচার: যেভাবে রাজনৈতিক জীবনের ইতি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল তিন-চোখওয়ালা সাপ দেহরক্ষীকে বিয়ে করে রানি বানালেন থাই রাজা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য তিনি বলেন, "৭০ এর সাইক্লোন থেকেই মূলত মোটামুটিভাবে মনিটর করা শুরু হয়। সেই ঘূর্ণিঝড়টা সরাসরি বরিশালের মাঝখান দিয়ে উঠে আসে। ভোলাসহ অনেক এলাকা পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।" ১৯৮৫ সালের ঘূর্ণিঝড়: উরিরচরের ঘূর্ণিঝড় নামে পরিচিত এই সাইক্লোনটি যার বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫৪ কিলোমিটার। মিস্টার আলম বলেন, "এটা অল্প জায়গায় হয়েছে ফলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি ছিলনা"। ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়: নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ১২-২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২২৫ কিলোমিটার। ১৯৯১ সালের ২৯-৩০শে এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়কে আখ্যা দেয়া হয় 'শতাব্দীর প্রচণ্ডতম ঘূর্ণিঝড়' হিসেবে যাতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায় বলে জানা যায়। যদিও বেসরকারি সংগঠনের দাবি অনেক মাছধরার ট্রলার সাগরে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন আরও অনেকে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক কোটি মানুষ। উপকূলের একটি ছোট বন্দরে সাইক্লোন সিডরের ধ্বংসলীলা। আবহাওয়া বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা মিস্টার আলম বলেন, "এই সাইক্লোনে অনেক পানি হয়েছিল। অনেক মানুষ মারাও গিয়েছে। যদিও পূর্বাভাস ভালো ছিল, ২৭ ঘণ্টা আগে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।" "কিন্তু ছয়ঘণ্টা ধরে স্থলভাগে আসে এবং তাণ্ডব চালায় এই সাইক্লোনটি।" তিনি বলেন, "সাধারণত ২/৩ ঘণ্টার বেশি সাইক্লোন থাকেনা। কিন্তু এটি ছয়-ঘণ্টার বেশি সময় বাতাস বইতে থাকে"। মিস্টার শাহ আলম জানান, ২২৪ কিলোমিটার বেগে আসা এই ঘূর্ণিঝড়ে তেলের ট্যাংকার পর্যন্ত ওপরে উঠে গিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় সিডর: ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার প্রবল ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে যার বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। জোয়ারের সময় হয়নি বলে প্লাবন কম হয়েছে, ফলে তুলনামূলক মানুষ কম মারা গেছে, কিন্তু অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি হয়েছে, বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সিডরে রেডক্রসে হিসেবে ১০ হাজার মারা গেছে বলা হলেও সরকারিভাবে ৬ ছয় হাজার বলা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় আইলা: ২০০৯ সালের ২৫শে মে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় আইলা, যার বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। মিস্টার আলম বলেন, "বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে '৭০ এবং ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে"। আইলা দুর্গত মানুষের ঘর বাধার চেষ্টা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞের চোখে বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে দুর্যোগ ফোরাম। এই সংগঠনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ গওহর নাইম ওয়ারা বিবিসিকে বলেন, মানুষ বাতাসকে ভয় পায়না, ভয় পায় পানিকে। আর জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় হলে তা বিশাল রূপ নেয়। ৭০ এবং ৯১ সময় সেটাই হয়েছিল। তবে তিনি মনে করেন, ক্ষয়ক্ষতির চিত্রটি সবসময় পূর্ণাঙ্গভাবে উঠে আসেনা। । "কারণ তখন তথ্য সংরক্ষণের ততটা ব্যবস্থা ছিলনা। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ ডেডবডি কাউন্ট করে, সরকার ডেডবডি না পেলে মৃত হিসেবে লিপিবদ্ধ করে না। সাগরে যারা হারিয়ে গেছে তাদের হিসাব তো করা হয় না।'' ''সিডরে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল বলেছিল রেডক্রস। কিন্তু সরকার বলেছিল ৬ হাজার। সুতরাং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সবসময় ঠিকভাবে উঠে আসেনা"। তিনি বলেন "আইলাতে কম মানুষ মারা গিয়েছিল, দিনের বেলায় হওয়াতে অনেকে সরে যেতে পেরেছিল। কিন্তু আইলার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। শুধু মানুষ না পশু-প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল"। সিডরে লণ্ডভণ্ড গ্রাম, হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবি। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড়: বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ৫টি সাইক্লোন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে। ২০১৬'তে যেখানে গড় আয়ু ছিল ৭১.৬ বছর, ২০১৭ তে তা বেড়ে দাড়ায় প্রায় ৭২ বছরে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭০.৩ থেকে উন্নীত হয়েছে ৭০.৬ বছরে। আর নারীদের গড় আয়ু ৭২.৯ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩.৫ বছর। কোন বিষয়গুলোর কারণে বাংলাদেশের গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল হকের মতে, গড় আয়ু বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় অবদান রেখেছে। আরো পড়ুন: দেখুন: আপনি কত দিন বাঁচবেন? নারীরা কেন বেশি দিন বাঁচে? ১০১ বছর বেঁচে থাকার ৭টি উপায় ১. শিশু মৃত্যুহার হ্রাস: মি.হক বলছেন, গড় আয়ু বাড়ার পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছে শিশু মৃত্যুহার হ্রাস। বিবিএস'এর জরিপ অনুযায়ী, ২০০১ সালে যেখানে বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১০০০ জন জন্ম নেয়া শিশুর মধ্যে ৫৬ জন, ২০১৭'তে এসে তা কমে দাড়ায় ২৪ জনে। পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২০০১ এ ছিল ৮২ জন, যা ২০১৭'তে কমে দাড়ায় ৩১ জনে। গড়ে প্রতি হাজার জন্মে শিশু মৃত্যুহার ২০০১ এর ৪.১ থেকে ২০১৭'তে কমেছে ১.৮ এ। স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের উন্নতি শিশু মৃত্যুহার কমানোর পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন মি. হক। ২. মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস: মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়াও গড় আয়ু বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ১৯৮৬ সালে প্রতি হাজার জন্ম নেয়া শিশুর ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৬.৪৮। ২০১৭ তে সেই সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে ১.৭২ তে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে। ৩. শিক্ষার হার বৃদ্ধি: শিক্ষার হারও গড় আয়ুকে প্রভাবিত করে। শিক্ষার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে সাধারণত মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও নিরপাত্তার বিষয়ে বেশী সচেতন হয়ে থাকে। জরিপ অনুযায়ী, ৭ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার হার ২০১৭'তে ছিল ৭২.৩%, যা একযুগ আগে ২০০৫ এ ছিল ৫২.১%। অর্থাৎ প্রায় ১৩ বছরে শিক্ষার হার বেড়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ। ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশী বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে শিক্ষার হার ২০০৫ এ ছিল ৫৩.৫% এবং ২০১৭'তে তা বেড়ে দাড়ায় ৭২.৯ শতাংশে। আপনার সম্ভাব্য গড় আয়ু জানতে এখানে ক্লিক করুন ৪. অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি: অর্থনৈতিক উন্নয়ন গড় আয়ুকে প্রভাবিত করে। মি.আমিনুল হক বলেন, "একটি পরিবার যখন দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসে, তখন তারা বেশী পুষ্টিকর খাবার হয় এবং স্বাস্থ্যের দিকে বেশী নজর দেয়।" মি. হক বলেন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, যা মানুষকে দীর্ঘকাল সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করে। গত ১৩ বছরে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার হিসেবে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ১৯.২ শতাংশ পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হিসেবে বিবেচিত হতো। ২০১৭ সালে ৩৯ শতাংশের বেশী পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত কয়েকদশকে বাংলাদেশে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ৫. ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়া: মি. আমিনুল হকের মতে স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে ছোঁয়াচে রোগের সংখ্যা কমেছে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে গড় আয়ুতে। মি. হক বলেন, "পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের মধ্যে দুষণজনিত নানাধরণের অসুখ দেখা দিচ্ছে। তবে সেসব রোগ দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরী করে। বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যার ফলে গড় আয়ু বেড়েছে।" এছাড়া চিকিৎসাখাতে উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে চিকিৎসা নিতে প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিতে যাবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। চিকিৎসাসেবার উন্নতিও বাংলাদেশে গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ৬. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর মৃত্যুসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গড় আয়ু কিভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছ, এই প্রশ্নের জবাবে মি. হক বলেন নতুন শিশু জন্মহারের তুলনায় আকস্মিক মৃত্যুর সংখ্যা নগণ্য। তাই আকস্মিক মৃত্যুর কারণে গড় আয়ু হ্রাস পেলেও অন্যদিকে শিশু জন্মহার অপরিবর্তিত থাকায় ও মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় তা গড় আয়ুর ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে না। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও উন্নয়ন হয়েছে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাসে একসময় ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নয়নের সাথে সাথে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। এছাড়া ঘরের বাইরের কাজে নারীদের সম্পৃক্ততা বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়াকে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে গড় আয়ু। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে কীভাবে বেড়েছে গড় আয়ু? দেখুন: আপনি কতদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের যত রাগ-অনুরাগ বিশ্বকাপ ২০১৮: দক্ষিণ কোরিয়া-মেক্সিকো 'ভাই ভাই' কী খান বিশ্বকাপ তারকারা, এক শেফের বয়ান
যে কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে গড় আয়ু
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
২০১৬ সালে কেনা সিংহটি রাখা নিয়ে এর আগেও কর্তৃপক্ষের সাথে বচসা হয় মিশাল প্রাসেকের। চেক প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে প্রজননের জন্য ৯ বছর বয়সী ঐ সিংহটি এবং একটি সিংহী পুষছিলেন মিশাল প্রাসেক নামের ঐ ব্যক্তি। মি. প্রাসেকের বাবা সিংহের খাঁচার ভেতরে তার ছেলের মরদেহ পান এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান যে খাঁচাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর আলাদা প্রকোষ্ঠে থাকা সিংহগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের একজন মুখপাত্র মিডিয়াকে জানান, 'মরদেহের কাছে পৌঁছাতে তাদের সিংহগুলোকে হত্যা করতেই হতো।' আরো পড়ুন: যে কিশোরের খেলার সাথী বাঘ প্রজাতির প্রাণী মারুতি সুজুকির কারখানায় চিতা, অতঃপর... মারা পড়ার আগে বাঘটির শেষ ছবিগুলো ৩৩ বছর বয়সী মি. প্রাসেক ২০১৬ সালে সিংহটি কিনেছিলেন এবং সিংহীটি তিনি কেনেন গত বছর। যদেচভ গ্রামে নিজের বাসার পেছনে স্থানীয় পদ্ধতিতে বানানো খাঁচায় সিংহগুলোকে রেখেছিলেন তিনি। সেসময় খাঁচা বানানোর জন্য তাকে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ এবং অবৈধভাবে বন্য প্রাণী প্রজননের দায়ে তাকে জরিমানাও করা হয়। পরে একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে তার বাড়ির সীমানায় ঢুকতে দেয়া বন্ধ করে দিলে সেবিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত বছর মি. প্রাসেকের বিষয়টি সেখানকার পত্রিকার খবরেও উঠে আসে - যখন তিনি সিংহীর গলায় দড়ি পরিয়ে হাটানোর সময় একজন সাইক্লিস্ট ঐ সিংহীর সাথে ধাক্কা খায়। ঐ ঘটনাটিকে পরবর্তীতে ট্রাফিক দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মি. প্রাসেকের মৃত্যুর ঘটনার পর যদেচভের মেয়র আশা প্রকাশ করেন যে, "এই ঘটনার পর হয়তো দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাবে।" আরো পড়তে পারেন: বনের চিতাবাঘ যেভাবে ভারতের গ্রামে ঢুকে হামলা করছিল যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? হার্ট অ্যাটাক: যে বিষয়গুলো কখনো উপেক্ষা করবেন না হার্ট অ্যাটাক: যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অবহেলা নয় ভারত-পাকিস্তান: পারমাণবিক অস্ত্রে কে এগিয়ে?
বাড়ির পেছনে খাঁচায় পোষা সিংহের হাতে নিহত যুবক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
এর আগের দিন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ৩,৩০৬ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হলেন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জন। গত একদিনে ২৫,৭৮৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্তের এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ আর ৩৬ জন নারী। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভিন্ন তথ্য বাংলাদেশে কি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন সম্ভব? সিরামের কাছ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে যা বললেন বেক্সিমকোর এমডি বাংলাদেশে কাল থেকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪,২৪১ জন আর বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার বিচারে শনাক্তের হার ১২.৮২ শতাংশ। বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে স্বচ্ছ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: হেফাজতে ইসলামের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে সমুদ্রের তলায়, সবাই নিহত যে শহরে শ্বাস নিতে পারাই এখন বিলাসিতা দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ
করোনা ভাইরাস: আবারো প্রায় একশোর কাছাকাছি মৃত্যু, শনাক্ত তিন হাজারের বেশি
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
তিনি মনে করেন, যে নিয়মে ওষুধ ছিটানো হয়েছে তা যথাযথ নয়। "তারা তো রাস্তার পাশে ওষুধ ছিটিয়ে চলে যায়। তখন দেখা যায় যে সব মশা বাসায় ঢুকে পড়ে। আর ইদানিং বৃষ্টির কারণে পানি জমে। এদিকের ড্রেনগুলোও সব খোলা। মশাগুলোর লার্ভা তো ওই পানিতেই থাকে। সেগুলোর জন্য তো সিটি কর্পোরেশন কিছু করে না," বলেন মিসেস শারমিন। একই পরিস্থিতি উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত মিরপুর এলাকার। সেখানকার বাসিন্দা পপি আহমেদের অভিযোগ: দিন দিন তার এলাকায় মশার উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে তীব্র গরমের মধ্যেও সারাদিন দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় তাকে। "আমি মিরপুরের যে এলাকায় থাকি তার পাশেই একটা বড় খাল আছে। সেখানে আশেপাশের মানুষজন ময়লা ফেলতেই থাকে। আর এ কারণে এতো মশা যে দিনে রাতে কখনোই জানালা খুলতে পারি না। কখন এসে ডেঙ্গু মশা কামড় দেয়, এখন যা অবস্থা!" তিনি জানান, গত কয়েক বছরে তার এলাকায় একবারও ওষুধ স্প্রে করতে দেখেননি মিসেস আহমেদ। "সরকারি লোকরা শুধু বলে যে ওনারা এটা করছে, ওটা করছে। কিন্তু বাস্তবে কয়েক বছর আমার এলাকায় একবারও ওষুধ দিতে দেখলাম না। আর এগুলো নিয়ে কারও কাছে অভিযোগ করেও লাভ নাই। আমাদের কষ্ট আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।" হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়। দুই সিটির কাজে কৌশলগত পার্থক্য দুই সিটি কর্পোরেশনের কাজে সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজধানীবাসীর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ থেকে জানা গেছে যে আগের চাইতে মশার ঘনত্ব কয়েকগুণ বাড়ার কারণেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতো ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। কিন্তু সমন্বয়হীনতার এমন অভিযোগ মানতে নারাজ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জনবল সংকট এবং উত্তর সিটির অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন। "আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় নেই এটা বলা যাবে না। আমাদের প্রধান সমস্যা হল জনবল। দুই সিটি কর্পোরেশন চাহিদার ৪০% জনবল নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া উত্তর সিটি কর্পোরেশনে যেসব কর্মকর্তারা কাজ করছেন, তাদের নিয়োগও হয়েছে সম্প্রতি।" "তারমধ্যে এ ধরনের পরিস্থিতিতে তাদের হয়তো একটু গুছিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি একসাথে কাজ করার।" দুই সিটি কর্পোরেশন গত দুদিন ধরে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ শুরুর কথা জানালেও এখনও তাদের কাজে কৌশলগত কিছু পার্থক্য রয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন। "আমাদের কার্যক্রম আমরা আমাদের মতো করছি। এখন দক্ষিণ কীভাবে করবে এটা তাদের পরিকল্পনার ব্যাপার। কিন্তু এই মশক নিধন কার্যক্রমটা শুক্রবার থেকে আমরা সমন্বিতভাবেই করছি। তবে তাদের মেশিন তাদের ওষুধ তারা কিভাবে ব্যবহার করবে, জনবলকে কিভাবে কাজে লাগাবে সেটা তাদের ব্যাপার। একেক সিটির কৌশল ভিন্ন হতেই পারে। তবে আমাদের লক্ষ্য একটাই। আর সেটা হল এই পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করা।" আরও পড়তে পারেন: 'ডেঙ্গু রোগীরা ঢাকা থেকে এসেছে' ডেঙ্গু: 'হাসপাতালে ভর্তির দরকার না থাকলেও ভর্তি হচ্ছেন' ডেঙ্গু পরিস্থিতি: মশা মারতে কামান নয়, মশা বাংলাদেশে জুন-জুলাই মাসেই এডিস মশা-বাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে দশ হাজারের মতো মানুষ। দুই সিটির সমন্বয় নেই কেন ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসের শুনানিতে এক আইনজীবী আদালতকে বলেন, "উত্তরে ওষুধ দিলে মশা দক্ষিণে যায়, দক্ষিণে দিলে উত্তরে যায়।" তার মতে এ কারণেই মশা নিধন করা সম্ভব হয়নি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের এমন সময়ে এ ধরনের বক্তব্যকে অমূলক বলে সমালোচনা করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ। তার মতে, মশা নিধনে সঠিক সময়ে দুটো সিটি কর্পোরেশনের কাজের ব্যর্থতার কারণেই ডেঙ্গু এতোটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, "দুটা সিটি আলাদা হলেও সমস্যাকে আলাদা করার সুযোগ নাই। তার মধ্যে একটা হল এই মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি। এটাকে অখণ্ডভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে।" "এই ডেঙ্গুর উৎপাত তো নতুন কিছু না। গত ১০ বছর ধরেই চলে আসছে। এক্ষেত্রে তো তাদের আগে থেকেই একটা পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিল। সুতরাং এখানে দুই সিটির অগ্রিম পরিকল্পনার অভাবের বিষয়টি স্পষ্ট।" "যখন শুরু হয়ে গেছে, তখনও তাদেরকে বেসামাল দেখা গিয়েছে। তারা কী করবেন সেটা যেন বুঝতে পারছেন না। তারা বলছেন, এক সিটির মশা আরেক সিটিতে চলে যাচ্ছে, মশার ওষুধ কাজ করে না। এই যে একেক সময় তাদের নানা রকম কথা, এগুলো তাদের বিশৃঙ্খল অবস্থাকেই রিপ্রেজেন্ট করে," বলেন তিনি। তবে দুই সিটি কর্পোরেশন যদি সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি অভিন্ন নীতিমালার আওতায় কাজ করে তাহলে দৃশ্যপট বদলাবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ। আরো পড়তে পারেন: স্কয়ার হাসপাতালের বিলের বিষয়ে তদন্ত পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ ১৪টি ব্র্যান্ডের দুধ কাশ্মীরে রাতারাতি কেন বাড়তি দশ হাজার সেনা? পাকিস্তানে যেভাবে সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে
ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এমন হলো কেন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
এ মাসের শুরুতে এই আক্রমণ সম্পর্কে জানতে পেরেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফিনান্সিয়াল টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে আক্রমণের এই প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে একটি ইসরাইলি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা এনএসও গ্রুপ। হোয়াটসঅ্যাপের স্বত্বাধিকারী সংস্থা ফেইসবুক বলছে, হ্যাকাররা মেসেজিং অ্যাপটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। সেই ত্রুটি ব্যবহার করে হ্যাকাররা দূর থেকে কিছু মোবাইল ফোনে বিশেষ নজরদারি সফটওয়্যার ইন্সটল করেছে। নির্দিষ্ট কিছু মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপকেই টার্গেট করা হয়েছিলো বলে জানানো হয়েছে। তবুও আরও নতুন সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে এর একটি সমাধান ইতিমধ্যেই বাজারে ছাড়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের দেড়শ কোটি ব্যবহারকারীকে সাবধানতা হিসেবে দ্রুত অ্যাপটি আপডেট করে নিতে বলা হয়েছে। আক্রমণকারী হ্যাকারদের 'খুব দক্ষ এবং অগ্রসর' একটি গোষ্ঠী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এই ত্রুটি এ মাসের শুরুতে এই আক্রমণ সম্পর্কে জানতে পেরেছে হোয়াটসঅ্যাপ। হ্যাকাররা এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েসকল অপশন ব্যবহার করেছে। হ্যাকাররা এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েসকল অপশন ব্যবহার করেছে। মোবাইল ডিভাইসে ভয়েসকলের রিং বাজার পর সেটি যদি কেউ নাও উত্তর দেয় তবুও নজরদারি সফটওয়্যারটি তারা ইন্সটল করতে সক্ষম হয়েছে। আরো পড়ুন: নতুন নিয়ম চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন হোয়াটসঅ্যাপ ভাইরাল মেসেজে ধরা পড়লো ধর্ষণকারী আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল এমনকি অ্যাপটির ভয়েসকলের তালিকা থেকে কলটির ইতিহাস পর্যন্ত মুছে দিতে পারে তারা। বিবিসিকে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মীরা প্রথম এই আক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত করে এবং তার পরপরই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগ, কিছু নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাকে এই আক্রমণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সংস্থাটি সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে, "এটি যে কোন সরকারের সাথে কাজ করা বেসরকারি কোম্পানির কাজ, তা বোঝার মতো স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে এই আক্রমণে। যাদের কাজ ছিল স্পাইওয়্যার বসিয়ে দূর থেকে মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।" কারা এই হ্যাকার? এনএসও গ্রুপ একটি ইসরাইলি কোম্পানি যাদের পূর্বে 'সাইবার অস্ত্র ডিলার' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার হল 'পেগাসাস'। এই সফটওয়্যারটি কোন মোবাইল ডিভাইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি মোবাইল ফোনটির মাইক্রোফোন ও ক্যামেরার তথ্য নিতে পারে। এনএসও গ্রুপ একটি ইসরাইলি কোম্পানি ফোনটির অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এনএসও গ্রুপ ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি দিয়েছে যাতে তারা বলেছে, "এনএসও'র প্রযুক্তি সরকারি সংস্থা থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত। যার একমাত্র কাজই হল সন্ত্রাস ও অপরাধ প্রতিহত করা।" সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, "কোম্পানিটি সরাসরি প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে না। জনগণের নিরাপত্তায় এই প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার হবে সেনিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এর অপব্যবহারের সকল অভিযোগ আমরা তদন্ত করি এবং ব্যবস্থা নেই।" "কাদের উপর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তাতে কোনভাবেই এনএসও'র কোন হাত নেই। এনএসও নিজে কাউকে টার্গেট করে না," বলে জানায় সংস্থাটি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে তারা পূর্বে এনএসও গ্রুপ দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছে। কাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিলো? হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, কতজন ব্যবহারকারীর উপর এই হামলা চালানো হয়েছে সেটি এখনই তারা জানাতে পারছে না। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তারা পূর্বে এনএসও গ্রুপ দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছে। অ্যামনেস্টির প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা ডেনা ইংগলটন বলেছেন, "কোন সরকার কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্টিভিষ্ট ও সাংবাদিকদের উপর নজরদারি করার জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে এমন প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।" অ্যামনেস্টি এই মুহূর্তে এনএসও গ্রুপের লাইসেন্স প্রত্যাহারের জন্য ইসরাইলে একটি আইনি লড়াই করছে। আজই সেনিয়ে তেলআভিভে আদালতে একটি রিটের শুনানি রয়েছে। অন্যান্য খবর: মানহীন খাদ্য পণ্য এতদিন পর কেন আলোচনায়? চাকরির ইন্টারভিউতে বাজিমাত করবেন কীভাবে? বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা?
হোয়াটসঅ্যাপে 'বড় ধরনের ত্রুটি', দূর থেকে নজরদারি করেছে হ্যাকাররা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কলকাতার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত একাডেমি-নন্দন-রবীন্দ্র সদন চত্বরের কাছে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে প্রায় কয়েক দশক ধরে। আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার এ দিনটি বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে স্মরণ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কিভাবে পালন করে দিনটি? কলকাতার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত একাডেমি-নন্দন-রবীন্দ্র সদন চত্বরের কাছে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে প্রায় কয়েক দশক ধরে। সেখানে রাতভর গান হয়, কবিতার আসর বসে, আর সেটা শেষ হয় প্রভাতফেরীর মধ্য দিয়ে। সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্কুল কলেজে কিছুদিন ধরে 'একুশে ফেব্রুয়ারি' উদযাপন শুরু হলেও সেখানকার সাধারণ মানুষের মনে যে দিনটি নিয়ে কোনও ভাবনা কাজ করে না সেকথাও অকপটে স্বীকার করেন অনেকে। বহু বছর ধরে একাডেমি- নন্দন-রবীন্দ্র সদন চত্বরে অনুষ্ঠানটি যারা পরিচালনা করেন, সেই ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রধান এমানুল হক বলছিলেন, "এপারের বাঙালি মধ্যবিত্তের মধ্যে একটা ভাবনা কাজ করে যে আমরা ভাল করে ইংরেজি শিখতে পারিনি বলে জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারিনি।" "তাই সকলেই সেদিকে ছুটেছে, নিজের ভাষার প্রতি খুব একটা খেয়াল কখনোই করিনি আমরা। বাংলা ভাষাটা এখন আর আবেগ নয়, একটা অর্থনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে"। বাংলাদেশে একুশের প্রথম প্রহর রাত বারোটা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের শহীদ বেদীতে চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। মি: হক বলছিলেন যে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা একাই একুশের অনুষ্ঠান করে আসছেন, তবে একুশে ফেব্রুয়ারি-কে ঘিরে অনুষ্ঠানের সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বহু স্কুল, কলেজ বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে এখন একুশের অনুষ্ঠান হয়। যেমন, এ বছর থেকেই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বেলঘরিয়া হাই স্কুল। সেখানকার প্রধান শিক্ষক মনোজ কুমার সিং নিজে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাই কয়েক মাস আগে স্কুলের দায়িত্ব পেয়েই নিজের আবেগের দিনটা পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। "আমার নিজের ভালো লাগাটা চেষ্টা করছি ছাত্রদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে, সেজন্যই একুশের অনুষ্ঠান শুরু করলাম।" "ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভাষা আন্দোলন নিয়ে যে আবেগ নেই, সেটার জন্য ওদের খুব একটা দোষ নেই। সবাই তো ইঁদুর দৌড়ে নেমে পড়তে বাধ্য হয়েছে। সেই দৌঁড়ে জিততে হলে ইংরেজি বা হিন্দির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশী" - বলছিলেন বেলঘরিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মি. সিং। এই পশ্চিমবঙ্গেই ক্ষমতায় এসে বামফ্রন্ট ইংরেজি তুলে দিয়ে মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রচলন ঘটিয়েছিল। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন নিজের ভাষা নিয়ে আবেগ তৈরি হলো না? সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত এ প্রসঙ্গে বলছিলেন "অন্য ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে কষ্টটা ওপার বাংলার মানুষ বা আসামের বরাক উপত্যকার মানুষ পেয়েছেন, সেটা তো পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে পেতে হয়নি। নিজের ভাষায় কথা বলতে না পারার মতো কোনও অবস্থা আমাদের কখনো হয়নি, সেজন্যই ওখানে যে আবেগ রয়েছে ভাষা নিয়ে বা একুশে নিয়ে, সেটা যে আমাদের মধ্যে থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক"- বলেন দিব্যেন্দু পালিত। তবে পশ্চিমবঙ্গে যে একুশে উদযাপনের সংখ্যাটা বাড়ছে, সেটা একদিকে যেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, একই সঙ্গে সেটা কিছুটা প্রথামাফিক দিবস উদযাপনের মতো হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কিভাবে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস? শিক্ষকরাই পড়তে পারছেন না পাহাড়ী ভাষার বই আইপিএলের নিলামে বিক্রি হলো না বাংলাদেশী কোন ক্রিকেটার কলকাতায় বিভিন্ন স্কুল কলেজ এখন একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন শুরু করেছে। শিক্ষাবিদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ীর মতে "এটা খুবই ভালো যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে একবার একুশের সরকারি অনুষ্ঠানে যান। স্কুল-কলেজগুলোতেও আজকাল ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। তবে সেটা অনেকটা ব্রতপালনের মতো - করতে হয় তাই করা হচ্ছে। তার মধ্যে আবেগ খুব একটা থাকে না, আর সেটা স্বাভাবিকও। কারণ বাংলাদেশের মানুষদের নিজেদের ভাষার জন্য যে লড়াই করতে হয়েছে, আমাদের তো সেটা করতে হয়নি। বড়জোড় সেই লড়াইয়ের সহমর্মী বা সমব্যথী হয়ে থেকেছি"। ভাষা শহীদ দিবস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেরকম আবেগ না থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে কিন্তু বহু পশ্চিমবঙ্গবাসী আজকের দিনে ব্যাপকহারে পোস্ট বা পোস্টার শেয়ার করেন। আবার অনেকে এই কটাক্ষও করেন যে শুধু একদিন ভাষার প্রতি নিজের আবেগ আর ভালবাসা জাহির না করে বছরজুড়ে সেটা করা উচিত। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে একুশের আবেগ নেই কেন?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বিপিএলের ক্রিকেটের চেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএল নিয়ে এই ছিলো এক কথায় ময়মনসিংহের ক্রিকেট ভক্ত তাবাসসুম ইকবালের মূল্যায়ন। অথচ ক্রিকেটারদের আন্দোলন আর সুপারস্টার সাকিবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষাপটে গতবছরের শেষ ভাগে শুরু হওয়া বিপিএল নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকের মধ্যেই। কিন্তু ঝাঁ চকচকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা ফুরোতে না ফুরোতেই নতুন আলোচনা শুরু হলো খেলার মাঠের দর্শকশূণ্যতা নিয়ে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে যখন সম্প্রচারকদের একটি ড্রোন হারিয়ে গেলো আকাশ থেকেই, তখন সেটা নিয়েই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কদিন ধরে চললো তুমুল হাস্যরস। এরপর মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নানা সময় আলোচনার কেন্দ্রে আসেন, ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলে খেলা চালিয়ে যাবেন কি যাবেন না সে বিষয়ে আলোচনায়। শেষ পর্যন্ত মাশরাফীর '১৪' সেলাই হাতে নিয়ে খেলতে নামার পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্কও দেখা যায়। এবারের বিপিএলের অন্যতম বিষয় ছিল ফ্র্যাঞ্জাইজি ছাড়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরই পরিচালকরা বিভিন্ন দলের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নামেন। বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস বিবিসি বাংলাকে আগেই বলেন, বিপিএলের এই আসরে লাভক্ষতির কোনো হিসেবই করা হবে না। কিন্তু মাঠের ক্রিকেট দিয়ে দর্শকদের মনের খোরাক মেটানোর একটা ব্যাপার থেকেই যায়। কিন্তু তাবাসসুম ইকবাল বলছেন, "কিছু কিছু ম্যাচে উত্তেজনা ছিল, যেমন চট্টগ্রামের মাটিতে কিছু ম্যাচ। এছাড়া আমি তেমন সুন্দর ক্রিকেট দেখিনি।" তার চোখে এবারের বিপিএলে ধারাভাষ্যকাররা মানসম্মত ছিলেন না, তাই টেলিভিশনে ক্রিকেট দেখে তিনি তেমন মজা পাননি। বিপিএলের বাণিজ্য: সফল নাকি ব্যর্থ ক্রিকেট বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যর্থ বিপিএল? বিপিএলের শুরুতে অধিনায়কদের ফটোসেশনে এক দলের অধিনায়ক নেই লেগ স্পিনার ও পেস বোলার বিপিএল শুরুর আগে এই টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিল জানায়, এই টুর্নামেন্টে প্রতি দলে একজন লেগস্পিনার ও একজন দ্রুতগতির পেস বোলার নেয়া ও তাদের চার ওভার বল করানো বাধ্যতামূলক। বিপিএল চেয়ারম্যান শেখ সোহেল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানান, বিপিএলে একজন লেগস্পিনার খেলাতেই হবে এবং তাকে দিয়ে চার ওভার বল করাতে হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং কর্তৃপক্ষ বলেন এটা একটা গাইডলাইন ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের সাবেক ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম এই পুরো আইডিয়াটিতে 'অবাস্তব' বলেন। "শুরুতে কিছুটা কনফিউশন ছিল যেমন, লেগস্পিনার রাখতে হবে, পেস বোলার রাখতে হবে যারা ১৪০ এর ওপর গতিতে বল করবে এসব খুব একটা বাস্তবসম্মত মনে হয়নি।" উইকেটের উন্নতি এই টুর্নামেন্টের আগের আসরগুলোতে একটা অভিযোগ ছিল যে রান হয়না। কিন্তু এবারের আসরে রান হয়েছে প্রচুর। মোট ২৬টি ম্যাচে ৩০০-র ওপর রান হয়েছে দুই ইনিংস মিলিয়ে। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচ ৪০০ পার করেছে। যেমন চট্টগ্রামের মাটিতে একটি ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স, দুই দল মিলে মোট ৪৬০ রান তুলেছে। এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে চ্যালেঞ্জার্স ২৩৮ রান তোলে। জবাবে ২২২ রান তোলে ওয়ারিয়ার্স। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন, "এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যে ধরণের উইকেটে খেলা হয়েছে সেটা। এটা প্রমাণ করে ঢাকা বা চট্টগ্রামে দ্রুত গতি ও সুন্দর বাউন্সি উইকেট বানানো যায়।" মোট আটবার দলগুলো এক ইনিংসে দুইশ রান পার করে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে লাভ করার সম্ভাবনা নেই বলছে বিসিবি এবারের বিপিএলে উইকেট ছিল বৈচিত্রপূর্ণ। বাংলাদেশের পেস বোলাররা ভালো করেছে, আবার স্পিনাররাও একটা ট্র্যাকে খেলেছে যেখানে স্পিন বল করা কঠিন। তাই চট্টগ্রামের নাসুম আহমেদের মতো স্পিনারদের আলাদাভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে যিনি কঠিন উইকেটেও স্পিন বলটা ঠিকঠাক করতে পারেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, এবারের বিপিএলের অন্যতম বড় সাফল্যই হলো জাতীয় দলের বাইরে যেসব ক্রিকেটার আছেন তাদের ফোকাসে নিয়ে আসা এবং পারফর্ম করার একটা মঞ্চ তৈরি করা। নিয়মিত বিদেশী খেলোয়াড়ের অভাব বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স অন্য যে কোনো আসরের চেয়ে ভালো হয়েছে এবার। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। রাইলি রুশো, মুজিব উর রহমান, দাউয়িদ মালান, আন্দ্রে রাসেল, শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ আমির ছাড়া খুব বেশি নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের তারকা ছিলেন না এই আসরে। ক্রিস গেইল এসেছেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। গত আসরে ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটাররা। ছিলেন রশিদ খান। বিপিএল নিয়ে বিবিসি বাংলায় যা পড়তে পারেন: ক্রিকেট মাতানো নেপালি ক্রিকেটারের উঠে আসার গল্প জার্সিতে মায়ের নাম নিয়ে কেন খেলছেন ক্রিকেটাররা শুরুতেই কেন বিতর্কে পড়লো এবারের বিপিএল সেলাই হাতে মাঠে নামা নিয়ে বিতর্ক, মাশরাফী কী বলছেন বিপিএলের প্রথম দিন ফাঁকা গ্যালারি কিন্তু বিপিএল শুরুর আগে যে অনিশ্চয়তা কাজ করছিল তাতে রশিদ খান এই টুর্নামেন্টে নাম লেখাতে স্বচ্ছন্দ অনুভব করেননি বলে জানান। এর ফলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মন খুলে খেলতে পেরেছেন বলে মনে করেন আরিফুল ইসলাম রনি। তিনি বলেন, রান বা উইকেট সংখ্যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এগিয়ে থাকলেও এর একটা বাজে দিক হলো বাংলাদেশর ক্রিকেটাররা যথেষ্ট প্রতিযোগিতা পায়নি। কিন্তু এর মাঝেও বাংলাদেশের যেসব ক্রিকেটার আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন তাদের একজন মেহেদি হাসান রানা। ৯ ম্যাচে ১৪ গড়ে ১৭ উইকেট নিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। মুশফিকুর রহিম ছিলেন টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফর্মে, অল্পের জন্য দুটো সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে তার তবুও আছেন এক নম্বরে। এছাড়া ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম, আফিফ হোসেনরা নিয়মিত রান করেছেন এবারের টুর্নামেন্টে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কেন সংবিধান বন্দনা করছেন ভারতের বিক্ষোভকারীরা পিতার সহায়তায় কিশোরীকে বছর ধরে ধারাবাহিক ধর্ষণ ইরানে বিমান বিধ্বস্তের ভিডিও করা ব্যক্তি কেন গ্রেপ্তার?
ক্রিকেট: এবারের বিপিএলের 'অবাস্তব' নিয়ম এবং অন্যান্য আলোচিত ইস্যু
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নেয়া চিতাবাঘ। শনিবার সকাল ১১:৩০টার দিকে জেলার বোদাপুর উপজেলার বসুনিয়াপাড়া গ্রামে বাঘটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। একটি ঝোপের ভিতর আশ্রয় নিয়েছিলো এটি। খবর পেয়ে জড়ো হয় শত শত গ্রামবাসী। এরই মধ্যে দুপুর দুইটার দিকে খবর পান মি. ফিরোজ। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগেই হঠাৎ করে বাবা হারানো এই ফটোগ্রাফার যেতে চাইলেন না। তিনি ভেবেছিলেন, সীমান্তের ওপার থেকে হয়তো মেছোবাঘ এসেছে। কিন্তু স্থানীয় একজন বন কর্মকর্তা তাকে চিতাবাঘের বিষয়টি নিশ্চিত করলে আধঘণ্টার মধ্যেই তিনি হাজির হন। "আমি গিয়ে দেখলাম, তখন মাত্র দুই-একজন পুলিশ সেখানে, যাদের পক্ষে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিলো না," তিনি বলেন। লাল জ্যাকেটে সেখানে হাজির হওয়ার সাথে সাথে তাকে ঘিরেও আগ্রহ তৈরি হয় মানুষের। "আমি বাঘটির থেকে ৫-৬ হাত দূরুত্ব থেকে কিছু ছবি তুলি। এসময় দেখছিলাম বাঘটি লেজ নাড়াচ্ছিলো আর গড়গড় করতেছিলো। শিকার এ্যাটাক করার আগে এমন করে এরা।" তিনি বলেন, "কিন্তু বাঘটি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে সে নড়তে পারছিল না।" তবু ছবি তুলতে পেরে তার "স্বপ্ন পূরণ" হয়েছে বলে জানান তিনি। আরো পড়ুন: বিলুপ্ত হবার পথে বণ্যপ্রাণী চিতা এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে? যে কিশোরের খেলার সাথী বাঘ প্রজাতির প্রাণী পঞ্চগড়ে চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারার আগের ছবি। 'বাঘের ছবি পেলেন ঠিকই তবে বাবা বিয়োগের পর' এদিকে ছবি তোলার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারেননি মি. ফিরোজ। স্থানীয় লোকজনদের বাঘটিকে না মারার জন্য বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। আগের একটা ঘটনা মনে পড়ায় তিনি "ইমোশনাল" হয়ে পড়ছিলেন। এর আগেও তিনি বাঘের ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি জানান, তিন বছর আগে তিনি শালবাহান বর্ডারের দিকে চিতাবাঘ খুঁজতে গিয়েছিলেন। কিন্তু চার দিন দিন থাকার পরেও বাঘের কোন হদিস পেলেন না তিনি। "পকেটে টাকাও নেই । তখন আমি স্বাবলম্বী নই । বাবার উপর নির্ভরশীল । বাবাকে দুরু দুরু বুকে ফোন দিলাম ,টাকা চাইলাম । বাবা শুনে রেগে গেলেন , বললেন কি জন্য আছিস ওদিকে ," ফেসবুকে লিখেছেন তিনি। "আমি বললাম বাঘের ছবি তুলবো । উনি বললেন দেশে বাঘ আছে নাকি ।বাড়ি আয় বলে রেখে দিলেন।" তিনি জানাচ্ছেন, "বাসায় আব্বু বলতেছিল তোকে বাঘের ছবি তুলতে হলে আফ্রিকার জংগলে যেতে হবে । এদিক কি আর এসব আছে । আমি বললাম যাবো একদিন।" "কিন্তু পঞ্চগড়ে বাঘের ছবি একদিন পেয়ে যেতেও পারি । আজ পেয়ে গেলাম এমন অবস্থায় যখন বাবা নেই , এটা ভেবেই বুকফেটে কান্না আসছিল।" তিনি আরো লিখেছেন: আমার ছবির সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন আমার বাবা। ছবি দেখতে বসতেন আমার পাশে। এক সাথে অনেক বার ছবি তুলতেও গেছি। কোথা থেকে এলো চিতাবাঘ? সীমান্তবর্তী দেশ ভারত থেকে দলছুট হয়ে চিতাবাঘটি পঞ্চগড়ে ঢুকে পড়ে বলে মনে করছেন দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান। জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়ায় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দেয়। পরে স্থানীয় একটি পুকুর বাড়ির ঝোপে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘটি। পঞ্চগড়ে ঝোপের মাঝে আশ্রয় নেয়া চিতাবাঘটি। 'আন্তরিকতা থাকলেও ছিল না দক্ষতা' খবর পেয়ে দুপুরের মধ্যে পুলিশ, বনবিভাগ ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা হাজির হন। চিতাবাঘটিকে দেখতে আসার ঢল নামে আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে। শুরু থেকেই মানুষজন বাঘটিকে ধাওয়া করে মারতে চাচ্ছিলো বলে জানান বন কর্মকর্তা মি. রহমান। এসময় পুলিশ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলো, বলছেন তিনি। "চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য ঢাকা থেকে ভেট আসার কথা ছিল। কিন্তু সানসেটের (সূর্যাস্তের) পর মব (উত্তেজিত জনতা) অশান্ত হয়ে উঠে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়," তিনি জানান। তিনি বলেন, আধ কিলোমিটারের মধ্যে ঘিরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় চিতাবাঘটিকে। এ প্রসঙ্গে ফটোগ্রাফার সাবাহ বলেন, "আন্তরিকতা থাকলেও বাঘটিকে ধরে ফেলার মত ক্যাপাসিটি (দক্ষতা) ছিল না বন বিভাগের।" "মনে হয়েছে তারা মানুষজনকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন, বাঘটিকে নয়," বলেন তিনি। এদিকে, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবও রয়েছে বন বিভাগের, এমনটাই জানালেন বন কর্মকর্তা মি. রহমান। তিনি জনগণের সচেতনার বিষয়টিও গুরুত্ব দেন। পিটিয়ে মারা আগে চিতাবাঘটি। কী করা হবে চিতাবাঘটির লাশ? ঘটনাস্থল থেকে চিতাবাঘটির লাশ উদ্ধার করে বোদা থানায় রাখা হয়। এ ঘটনায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান মি. রহমান। সেখান থেকে দিনাজপুরের বন বিভাগের অফিসে চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শেষ করে বন অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। তিন-চার মাস পর কঙ্কালটি জাদুঘরে পাঠানো হবে বলে তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান। চিতাবাঘ, ভালুক, আর হায়েনার আশ্রয় যার বাড়ি
পঞ্চগড়ে চিতাবাঘটি মারা পড়ার আগের ছবি
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
রাজাকার, আল-বদর এবং আল শামস বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাকাণ্ড চালায়। 'রাজাকার' শব্দটির সাথে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় ঘটে ১৯৭১ সালে। মাত্র কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ সরকার রাজাকারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেটি নিয়ে চলছে বিতর্ক এবং শোরগোল। অভিযোগ উঠেছে যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তির নাম ঢুকেছে রাজাকারের তালিকায়। প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৭১ সালে রাজাকার কারা ছিলেন? আর তাদের ভূমিকাই বা ঠিক কী ছিল? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, 'রাজাকার' একটি ফার্সি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে 'স্বেচ্ছাসেবী'। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য ১৯৭১ খুলনার খান জাহান আলী রোডের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিকে নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ বাহিনীর জন্য সদস্য সংগ্রহ করা হয় এবং তারা প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান অধ্যাপক মামুন। রাজাকার বাহিনী গঠনের পেছনে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন নেতা এ কে এম ইউসুফ, যিনি পরবর্তীতে দলটির নায়েবে আমির হন। মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে কারাগারেই তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং খুলনায় শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা 'ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'র আহবায়ক ড. এম এ হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্স গঠন করা হয়। তিনি জানান, এর অধীনে রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস্ বাহিনী গঠন করা হয়। এই ফোর্সের অধীনে বাঙালীরা যেমন ছিল, তেমনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসরত উর্দুভাষীদের অনেকে তাতে যোগ দেয়। পাকিস্তান বাহিনী তাদের হাতে অস্ত্রও তুলে দিয়েছিল। রাজাকারদের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে রাজাকার বাহিনী ছিল শান্তি কমিটির আওতাধীন। ড. এম এ হাসান বলেন, ১৯৭১ সালের জুন মাসে জেনারেল টিক্কা খান রাজাকার আইন জারি করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনীতে প্রায় ৫০ হাজার সদস্য ছিল, যারা মাসিক ভাতা পেতেন। ওই সময় প্রতি মাসে রাজাকার বাহিনীর একজন সদস্য দেড়শো' রুপির মতো ভাতা পেতেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ড. হাসানের বলেন, "যতদূর আমার মনে আছে, একজন রাজাকার সদস্য তখন ১৫০ রুপি ভাতা পেত। স্বাধীনতার পরেও এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ৯০ রুপি।" অনেক রাজাকার সদস্য অবশ্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতেও কাজ করতেন। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং ড. এমএ হাসান - দু'জনই বলেছেন যে রাজাকার বাহিনীতে যারা কাজ করতেন, তাদের নাম মুক্তিযুদ্ধের সময় সংশ্লিষ্ট থানায় লিপিবদ্ধ ছিল। ড. হাসান বলেন, রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিতো, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতো, হত্যা করতো কিংবা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতো। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের ভেতরে বেশ কয়েকটি বাহিনী বা সংগঠন গড়ে উঠেছিল। এগুলো হচ্ছে - শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস। গবেষকরা বলছেন, যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জামায়াত ইসলামীর নেতা গোলাম আযম এবং মুসলিম লীগ নেতা খাজা খয়েরউদ্দিন। অন্যদিকে আল-বদর বাহিনীর তিন থেকে পাঁচ হাজার সদস্য ছিল বলে উল্লেখ করেন ড. হাসান। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীরা এ বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে তিনি জানান। বাহিনীটির প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী, যিনি স্বাধীন বাংলাদেশে পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর আমির হন। মানবতবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে মি. নিজামীকে ফাঁসি দেয়া হয়। এছাড়া আল-শামস বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও ছিল প্রায় ৩,০০০'র মতো।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে গঠন করা হয়েছিল রাজাকার বাহিনী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ অনেক জায়গাতেই ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করা হচ্ছে এর পরদিন এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশে সই করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, যার ফলে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেধে ধর্ষণের ঘটনায় নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা আহত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধানও রয়েছে। সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে। এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেয়া সপ্তম দেশ হলো বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মৃত্যুদণ্ডের আইন কি বাংলাদেশে ধর্ষণ বন্ধের সমাধান? ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইন যা রয়েছে এডিটার'স মেইলবক্স: ধর্ষণ নিয়ে ক্ষোভ, ক্রসফায়ার নিয়ে বিতর্ক আর রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্ন ধর্ষণ প্রতিরোধে 'ক্রসফায়ার' নিয়ে এত আলোচনা কেন? ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মঙ্গলবার অধ্যাদেশে সই করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ছাড়া আর যেসব দেশে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ভারত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাস করা এক নির্বাহী আদেশে ভারতে ১২ বছরের কম বয়সী মেয়ে শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়। ওই সময়ে ভারতজুড়ে চলতে থাকা ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারতের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের কারণে যদি ভুক্তভোগী মারা যান অথবা এমনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তিনি কোনো ধরণের নাড়াচাড়া করতে অক্ষম, সেই ক্ষেত্রেও অপরাধীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ধর্ষণ প্রমাণিত হলে ন্যুনতম দশ বছর শাস্তির বিধান রয়েছে ভারতের আইনে। পাকিস্তান পাকিস্তানের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ধর্ষণ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ভারতের মত পাকিস্তানের আইনেও ধর্ষণ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছর কারাদণ্ডের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া দুই বা অধিক ব্যক্তি একই উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্ষণের মত অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করলে, প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে পাকিস্তানের পেনাল কোডে। গত মাসে একটি হাইওয়েতে হওয়া এক ধর্ষণের ঘটনায় পাকিস্তানে তোলপাড় তৈরি হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ধর্ষকদের জনসম্মুখে হত্যা কিংবা রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজা করার পক্ষে তার মতামত প্রকাশ করেছিলেন। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখার পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ করা হলেও তিন বছর পর্য্ত কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে পাকিস্তানে। সৌদি আরব সৌদি আরবের শরিয়া আইনে ধর্ষণ একটি ফৌজদারী অপরাধ এবং এর শাস্তি হিসেবে দোররা মারা থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে ১৫০টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যার মধ্যে আটটি ছিল ধর্ষণ অপরাধের জন্য। বাংলাদেশ ছাড়া আরও ৬টি দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ইরান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ইরানে মোট ২৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২ জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে ধর্ষণের দায়ে। অ্যামনেস্টি বলছে, চীনের পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে ইরানে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী, কোন নারীর সঙ্গে জবরদস্তিমূলক যৌনমিলনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে দেশটির আইনে অপরাধ সংঘটনেরর সময় ভুক্তভোগীর বয়স ১৪ বছরের নিচে হলেই কেবল সেটিকে জোরপূর্বক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা না হলেও অন্তত ১৮ জনকে হত্যা, ধর্ষণ ও সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। চীন চীনে কোন নারীকে ধর্ষণ কিংবা ১৪ বছরের কম বয়সী কোন মেয়ের সঙ্গে যৌনমিলনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে যদি ঘটনার শিকার মারা যান অথবা মারাত্মকভাবে আহত হন। সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে, ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী মারা গেলে বা মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, অথবা পাবলিক প্লেসে ধর্ষণ হলে বয়স বিবেচনা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে। এছাড়া, অপরাধী একাধিক ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়। সাধারণ ক্ষেত্রে ধর্ষণ প্রমাণিত হলে ন্যূনতম তিন বছর থেকে ১০ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি রয়েছে চীনের আইনে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরণের চরম হতাশা তৈরি হয় মৃত্যুদণ্ড বিধানের সমালোচনা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা মন্তব্য করেছে 'চরম শাস্তি সহিংসতাকে অব্যাহত রাখে, তা প্রতিরোধ করে না।' সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিশোধের দিকে মনোনিবেশ না করে যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীর সুবিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ধর্ষণ মহামারি নির্মূলে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে দীর্ঘমেয়াদে সংস্কার করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। একই সাথে অপরাধীদের শাস্তি যেন নিশ্চিত হয় এবং শাস্তি থেকে দায়মুক্তির সংস্কৃতি যেন বন্ধ হয়, সেদিকেও নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছে অ্যামনেস্টি। যে কারণে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিরোধিতা করছে অ্যামনেস্টি অ্যামনেস্টি'র সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, "পৃথিবীর কোনো বিচার ব্যবস্থাই ত্রুটিমুক্ত নয়। যার ফলে বিচার ব্যবস্থার ত্রুটিতে একজন মানুষের প্রাণ নিয়ে নেয়ার পর যদি জানা যায় যে ঐ ব্যক্তি নির্দোষ, তখন আসলে কিছু করার থাকে না।" আর বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্ষণ এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাগুলোর সাথে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো বা কমানোর সম্পর্ক খুব সামান্য বলে মনে করেন তারা। "আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সমস্যাটা পদ্ধতিগত। অর্থাৎ, আমাদের এখানে আইনে এবং বিচার প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা আছে। আর এই বিচার প্রক্রিয়া সংশোধন করা না হলে শাস্তি বাড়িয়ে-কমিয়ে আসল পরিস্থিতির উন্নয়ন করা সম্ভব না", বলেন মি. জাকারিয়া। ধর্ষণের বিচার খুবই কম, হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভিকটিম, তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মৃত্যুদণ্ডকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে তিনি বলেন, সরকারের নিজের হিসেবেই নারী নির্যাতনের মামলার একটা বড় অংশেরই শাস্তি হয় না। শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারার অন্যতম প্রধান একটি কারণ আইনের ফাঁক-ফোকর এবং সামাজিক চাপের কারণে ভুক্তভোগীদের আইনের সহায়তা না চাওয়া। "সরকারের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ভুক্তভোগীরা ২৬ ভাগ ঘটনায় আইনের সহায়তা নেয়, যার মধ্যে শাস্তি দেয়া হয় ০.৩৭ ভাগের।" সুতরাং সুলতান জাকারিয়া মনে করেন যে শাস্তির মাত্রা বাড়ালেই যে এই চিত্র পরিবর্তন হবে, সে রকম মনে করার কোনো কারণ নেই। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের উপাত্ত উদ্ধৃত করে তিনি জানান, ২০০১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ১,৫০৯ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের পর মারা গেছেন এবং ১৬১ জন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি যোগ করেন যে এই সংখ্যাটি প্রকৃত চিত্র উপস্থাপন করে না, বরং যা ঘটছে এটি তার অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশ।
ধর্ষণ: বাংলাদেশ ছাড়া আরও যেসব দেশে এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মানিকগঞ্জ জেলায় পেঁয়াজ ক্ষেত পরিচর্যা চলছে। - ফাইল ফটো ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতাসীন হাবার পরে সেদেশ থেকে বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। গরুর মাংসের দাম এক লাফে কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তীব্র সংকট তৈরি হয় কোরবানির পশু সংগ্রহের ক্ষেত্রে। প্রথম দু'বছর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে কোরবানির জন্য গরু খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছিল অনেকের জন্য। এই সংকটের কারণে গত কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে অনেক গরুর খামার গড়ে উঠে। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের কোরবানির পশুর বাজার ভারতের উপর নির্ভরশীল নয়। পেঁয়াজের এই নজিরবিহীন মূল্য বৃদ্ধি যে প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে সেটি হচ্ছে, ভারতের উপর যে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে বাংলাদেশ কি বেরিয়ে আসতে পারবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, "আমাদের কখনোই উচিত হবে না একটি বাজারের উপর নির্ভরশীল হওয়া।" তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুধু ভারতের উপর নির্ভরশীল না থেকে বিকল্প বাজারও খুঁজতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের ভেতরেও পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যাপক বিদিশার মতে, পেঁয়াজের জন্য ভারতের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা তৈরি হওয়ার একটি দুটো কারণ রয়েছে। প্রথমত, ঐতিহাসিকভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ভারতের পেঁয়াজের গুণগত মান এবং দাম বিবেচনা করলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক বিদিশা। টিসিবি ট্রাক থেকে কম দামে পেঁয়াজ ক্রয়ের জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজার-হাজার মানুষ। বাংলাদেশ কি ভারত-নির্ভরতা কাটাতে পারবে? কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান মনে করেন, ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হয়ে যাবার পর বাংলাদেশের গরুর খামারিরা যে সফলতা দেখিয়েছে, সেটি পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সম্ভব। "প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে পেঁয়াজ যে পরিমাণ উৎপাদন হয়, ভারত থেকে যদি পেঁয়াজ না আসতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশের কৃষক উৎপাদিত পেঁয়াজের ভালো দাম পেতো" কৃষি সচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা পায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসলে বাংলাদেশের কৃষকরা প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৩০-৩২ টাকা পেতো। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে বর্তমানে ২৩ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় প্রায় পাঁচ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১৯ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে থাকে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানি হয় ১১ লাখ টন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ প্রয়োজন। "আমাদের চাষীদের যে সক্ষমতা আছে, সেক্ষেত্রে তারা খুব সহজেই ৩০ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি যখন চাষীরা পেঁয়াজ উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে আসবে, তখন যেন ভারত থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে," বলছিলেন কৃষি সচিব। আরো পড়তে পারেন: পেঁয়াজ বাজারে আগুন: দায় কারসাজির নাকি সিদ্ধান্তহীনতার? পেঁয়াজ নিয়ে চমকপ্রদ ৯ টি তথ্য পেঁয়াজ যেভাবে ভারতের রাজনীতিবিদদের কাঁদাচ্ছে ঢাকার একটি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, কৃষকরা যদি পেঁয়াজের দাম পায়, তাহলে পরবর্তী বছর আরো বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করবে। বাংলাদেশের যদি পেঁয়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণের সক্ষমতা থাকে, তাহলে এতদিন সেটি না করে ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলো কেন? কৃষি সচিব বলছেন, বিষয়টি নিয়ে অতীতে ভিন্ন চিন্তা করা হয়নি। "কৃষক যখন উৎপাদন করে তখন বিদেশ থেকে আমদানি করলে দাম অনেক নেমে যায়। এটা যাতে না হয়। এটা হলে পরবর্তী বছর কৃষক উৎপাদন করতে আগ্রহী হয় না।" "ভারত থেকে বা দেশের বাইরে থেকে যে পেঁয়াজ আসবে, সেটা যদি না আসে তাহলে সারা বছর হয়তো আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম একটু বেশি থাকবে। হয়তো কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা থাকবে, কিন্তু কখনো আড়াইশ টাকায় উঠবে না," বলছিলেন কৃষি সচিব। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্রে হাঙর ধরায় আগ্রহী কেন? মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের নিরাময় কেন্দ্রে গিয়েই পরিচয় মাদকের সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম রায়ে পুলিশের শাস্তি
পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারতের উপর নির্ভরতা কাটাতে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সোনা মহাপাত্রের বিতর্কিত গানটির ভিডিও জনপ্রিয় পপশিল্পী সোনা মহাপাত্রর একটি মিউজিক ভিডিও 'অশ্লীল' এবং সুফি ভাবধারার সঙ্গে খাপ খায় না - এই যুক্তিতে তাকে সেটি তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে ভারতের মাদারিয়া সুফি ফাউন্ডেশন। সোনা মহাপাত্র নিজে মুম্বাই পুলিশের উদ্দেশে একের পর এক টুইট করে জানিয়েছেন, ওই ফাউন্ডেশন তাকে হুমকি দিয়ে ইমেল পাঠিয়েছে এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছে গানটি প্রত্যাহার না-করা হলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়াবে। শিল্পীর যে গানটি নিয়ে এই বিতর্ক, তার নাম 'তোরি সুরত'। তোরি সুরত গানটি দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন: কাওয়ালির সম্রাট বলে পরিচিত কবি আমীর খশরু তার প্রিয় গুরু নিজামুদ্দিন আউলিয়ার উদ্দেশে সাতশো বছর আগে এই নামে একটি গান লিখেছিলেন, সোনা মহাপাত্রর মিউজিক ভিডিওটি তার ওপরেই ভিত্তি করে। কিন্তু সোনা মহাপাত্রকে পাঠানো হুমকি ইমেলে মাদারিয়া সুফি ফাউন্ডেশন লিখেছে, 'তোরি সুরত' মিউজিক ভিডিওতে যেভাবে 'ঐশী নারীশক্তির পার্থিব চরিত্রায়ন করা হয়েছে' এবং 'স্লিভলেস জামা পরে শরীর-দেখানো পোশাকে মেয়েরা নাচছে' তা কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা বলিউডের এই জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকাকে 'রেগুলার অফেন্ডার' (অর্থাৎ যিনি নিয়মিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধ করে থাকেন) বলেও অভিহিত করেছেন। মাদারিয়া সুফি ফাউন্ডেশন কোক স্টুডিওতে গাওয়া সোনা মহাপাত্রর বছরপাঁচেক আগের একটি সুফিয়ানা কালামের গান নিয়েও তার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে। দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা। ভারতের মাদারি সুফিদের প্রধান কেন্দ্র। 'পিয়া সে নয়না' নামে সোনার ওই গানটিকে তারা ইসলাম-বিরোধী বলে দাবি করেছে - কারণ সেটিতে না কি শিল্পী নিজের 'শরীর-দেখানো পোশাক' পরে গেয়েছেন এবং 'পশ্চিমী মিউজিক' ব্যবহার করেছেন। দিল্লির নিজামুদ্দিন দরগা কর্তৃপক্ষও সুফি ফাউন্ডেশনের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে বলে সোনা জানিয়েছেন। সোনা মহাপাত্র অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই সব হুমকিতে ভয় পাচ্ছেন না - এবং তার সুফিয়ানা কালামের এই সব গান তুলে নেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বাই পুলিশ এই হুমকির ঘটনায় তদন্তও শুরু করেছে। তবে এই বিতর্ক সামনে আসার পর মাদারিয়া সুফি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে কেউ এখনও মুখ খোলেননি। মাদারিয়া হল সুফি মতাবলম্বী মুসলিমদের একটি সেক্টর, উত্তর ভারতে - বিশেষত উত্তরপ্রদেশের কানপুরে, হরিয়ানার মেওয়াটে এবং তা ছাড়াও বিহার, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও এলাকাতেও তাদের বেশ কিছু অনুসারী আছেন। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বজ্রপাতে আট বছরে ১৮০০ মানুষের মৃত্যু গোলাপের সুগন্ধের রহস্য উন্মোচন
পপ ভিডিও 'তোরি সুরত', নিজামউদ্দিন আউলিয়ার শিষ্যরা কেন ক্ষিপ্ত