instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
হাপুড়ে পিটিয়ে মারা কাশিম কুরেশির একজন পরিজন। দিল্লি, জুন ২০১৮ কাসিম কুরেশি ও পহেলু খানকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকেই এনডিটিভি-র লুকোনো ক্যামেরার সামনে বলতে শোনা গেছে তারা কীভাবে হত্যাকান্ডে সামিল হয়েছে এবং পুলিশ কেন তাদের কিছু করতে পারবে না। ভারতের মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, মুসলিমদের পিটিয়ে মারার পরও গোরক্ষকরা যে অনায়াসে পার পেয়ে যাচ্ছেন এই ঘটনায় তাদের সেই অভিযোগই প্রমাণিত হচ্ছে। এ বছরের ১৮ই জুন হাপুড়ের কাছে কাশিম কুরেশি ও শামসুদ্দিন নামে দুই ব্যক্তিকে কীভাবে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তোলা সেই ভিডিও দেখে চমকে গিয়েছিল সারা দেশ। সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত যুধিষ্ঠির শিশোদিয়া দিনকয়েকের মধ্যেই অবশ্য জামিন পেয়ে যায় - আর এখন মিডিয়া চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে তাকে বলতে শোনা গেছে কেন সে আবার একই কাজ করতে দ্বিধা করবে না। গরুর পাচার রুখতে পুলিশ ও গোরক্ষক বাহিনীর যৌথ টহল। রাজস্থান আরও পড়তে পারেন: কেন বাংলাদেশের সিগারেটের বাজারে ঢুকছে জাপান 'আন্দোলন সরকারকে ভাবতে বাধ্য করেছে' ইরান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিত্রদেরও হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের না-জানিয়ে তোলা ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "হাজার বার জেল যেতে হলেও আমি গরুর ঘাতকদের জবাই করতে দ্বিধা করব না। যে গরু কাটবে, শিশোদিয়া তাকেই কাটবে।" সগর্বে সে আরও জানাচ্ছে, এমন কী জেলে আটক থাকার সময় জেলারকেও না কি বলে এসেছে, "মুসলিমরা গরু কাটছিল, তাই আমি ওদের কেটে এসেছি - ব্যাস, এ আর বেশি কথা কী?" পিটিয়ে মারার দৃশ্য তার ছেলেরা ভুল করে মোবাইলে ভিডিও করেছে - এমন ভুল আর হবে না বলেও জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। আর উত্তরপ্রদেশের বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে পুলিশ যে তার টিকিও ছুঁতে পারবে না, বুক ফুলিয়ে জানিয়েছে সে কথাও। ওই রাজ্যের সাবেক পুলিশ প্রধান বিক্রম সিং বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, প্রশাসনের মদতেই যে এই হত্যাকারীরা এত বেপরোয়া - তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। মুসলিমদের পিটিয়ে মারার বিরুদ্ধে ভারতে প্রতিবাদ মি. সিংয়ের কথায়, "আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এগুলো কলঙ্কের মতো। পুলিশ-প্রশাসনও যে এই অপরাধে সামিল, তাদের এতে সম্মতি আছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার। ২০১৮তে পিটিয়ে মারার ঘটনা যে এত বেড়ে গেছে, তা তো অকারণে নয়।" "রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা যখন গোরক্ষকদের পাশে নিয়ে ছবি তোলেন, তাদের উৎসাহ দেন তখন নিচুতলার পুলিশকর্মীদের আপনি কী বার্তা দিচ্ছেন সেটাও তো ভাবতে হবে?" লেখিকা ও অ্যাক্টিভিস্ট ফারা নাকভি ভারতে এরকম পিটিয়ে মারার বিভিন্ন ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করেছেন, তিনি আবার এটাকে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা বলেই মানতে রাজি নন। মিস নাকভির কথায়, "অভিযুক্তরা এই যে গর্ব করে বলছে বেশ করেছি পিটিয়ে মেরেছি - আবার পেটাব, এর মাধ্যমে ভারতীয় সমাজকে তারা এই বার্তাটাই দিচ্ছে যে প্রশাসন আমাদের এইসব কাজ শুধু সহ্যই করবে না, এগুলোতে উৎসাহও দেবে।" "এটাকে নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা বলা যাবে না, কারণ আমাদের কাছে অনেক প্রমাণ আছে যে এগুলো পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, কাকে নিশানা করা হবে বা কোথায় হামলা চালানো হবে সেগুলো আগেই ঠিক করা থাকে এবং পুলিশেরও এতে যোগসাজশ আছে", জানাচ্ছেন তিনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মীনাক্ষী গাঙ্গুলি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মীনাক্ষী গাঙ্গুলিও বলছেন, এনডিটিভি-র লুকোনো ক্যামেরায় যে কথোপকথন ধরা পড়েছে তা তাদের এতদিনের বক্তব্যকেই সত্যি প্রমাণ করছে। মিস গাঙ্গুলি বিবিসিকে বলছিলেন, "আমরা অনেকদিন ধরেই বলার চেষ্টা করে আসছি, এগুলোকে যে একটা আচমকা ক্ষুব্ধ হয়ে স্বত:স্ফূর্ত মব অ্যাটাক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়, ঘটনাটা মোটেই সেরকম নয়। "বরং হামলাকারীরা এখানে খুব ভাল করে জানে যে তাদের কিছু হবে না, এবং তারা পলিটিক্যাল প্রোটেকশন পাবে। আর বাস্তবেও ঘটে ঠিক তাই, পুলিশও তাদের কিছু বলে না। এ কারণেই আমরা বলছি পরিস্থিতি সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।" হাপুরে কাশিম কুরেশিকে পিটিয়ে মারার মামলাটি এখন আগামী সোমবারেই শুনতে রাজি হয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। তবে মিডিয়ার স্টিং অপারেশনের ভিডিও আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
'যারা গরু কাটবে, তাদের হাজারবার জবাই করব'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ বাণিজ্য হয় সফল হলে, আফ্রিকার ১৩০ কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি মুক্ত অর্থনৈতিক এলাকা তৈরি করবে যেটি হবে বিশ্বে এ ধরণের সর্ববৃহৎ অঞ্চল। আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা আফ্রিকা মহাদেশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য গত ১৭ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। এর উদ্দেশ্য - আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে যেন আরও বেশি করে পণ্য লেন-দেন হয়। বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ বাণিজ্য হয়, এর বিপরীতে ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ৬৫ শতাংশ। নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সিংহভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর প্রত্যাহারে ঐক্যমত্য হয়েছে, এবং ধারনা করা হচ্ছে এর ফলে মধ্যমেয়াদে আফ্রিকায় আন্ত:বাণিজ্য ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। অন্যান্য কিছু মতভেদ দুর হলে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। আইএমএফ বলছে, এই বাণিজ্য চুক্তি আফ্রিকার চেহারা বদলে দিতে পারে, এবং যেভাবে এ ধরনের মুক্ত বাণিজ্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে, আফ্রিকাতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে । মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুহারি তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু শুল্ক প্রত্যাহার করলেই যে আফ্রিকায় কাঙ্ক্ষিত সুফল আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তারা বলছেন, এই মহাদেশের দুর্বল সড়ক এবং রেল নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক এবং জাতিগত অস্থিরতা এবং হানাহানি এবং সেইসাথে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী ইথিওপিয়ার সাথে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে এরিত্রিয়া এই চুক্তিতে সামিল হয়নি। এপ্রিলে নতুন এই মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনে ফয়সালা হয়ে গেলেও আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি নাইজেরিয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় তা আটকে ছিল। তবে নাইজেরিয়া আজ (রোববার) চুক্তিতে সই করে। ৫৪ টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। ফলে এটি পুরোপুরি কার্যকরী হতে আরো কিছু সময় লাগবে। আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠানে ৯০০ কর্মী, কিন্তু কোনো অফিস নেই 'ছাদ দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল'
সূচনা হলো বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য এলাকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কাকের দখলে মোম্বাসার আকাশ এরা ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে খাবার, যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলছে এঁটো-কাঁটা। এমনকি তাদের জ্বালায় অন্যান্য পাখি শহরে টিকতে পারছে না বলে জানাচ্ছেন মোম্বাসায় বিবিসি সংবাদদাতা। তিনি বলছেন, মোম্বাসার আকাশে এখন শুধুই কাক আর কাক। গবেষকরা বলছেন, ইন্ডিয়ান হাউস ক্রো নামের এই জাতের কাক পূর্ব আফ্রিকার আদি বাসিন্দা নয়। এদের আদি নিবাস ভারত উপমহাদেশে। বর্জ্য সমস্যার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ১৮৯০ সালের দিকে এই কাক পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে ছেড়ে দেয়া হয়। খাবারের প্রাপ্যতা আর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে রাখার সুবাদে এই কাকের জনসংখ্যায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুখরোচক খাবারেই শুধু ভরে মন তবে ইদানিং ফেলে দেয়া খাবারের চেয়ে এইসব কাকের নজর এখন স্বাদু আর দামী খাবারের দিকে। সমস্যা এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে মোম্বাসার কোন কোন রেস্টুরেন্টে পেশাদার কাক-তাড়ুয়া নিয়োগ করতে হয়েছে। শহরের বর্জ্য কাকের বংশবৃদ্ধির পেছনে একটি বড় কারণ। ''আমাদের রেস্টুরেন্টটি খোলামেলা জায়গায়,'' বলছেন মোম্বাসার এক রেস্টুরেন্ট মালিক ডনাল্ড শিপেঞ্জি, ''এই কাকেরা আমাদের খাবার ছিনিয়ে নেয় আর চেয়ারটেবিলের ওপর মলত্যাগ করে। আমাদের জন্য এরা একটা বড় সমস্যা।'' আকাশের আধিপত্য কাকের অন্য পক্ষীকূলের প্রতি মোম্বাসার কাকদের আচরণ পরিবেশবাদীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তারা বলছেন, আগ্রাসী কাকের ঝাঁক স্থানীয় পাখিগুলোকে এলাকা-ছাড়া করছে আর ছোঁ মেরে মুরগির খামার থেকে মুরগির ছানা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কাকের হামলা থেকে রক্ষার জন্য কোন কোন মুরগির ফার্ম তাদের মুরগিগুলিকে লাল, নীল হলুদ রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছে। চালাক কাকের জীবন সংগ্রাম কেনিয়ার আরেকটি শহর মালিন্ডিতে কাকের উপদ্রব ঠেকানোর জন্য ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্টারলিসাইড নামে এক ধরনের পাখির বিষ ব্যবহার করা হতো। এতে বেশ কাজ হয়েছিল এবং মালিন্ডিতে কাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গিয়েছিল। কাকের প্রিয় খাবার মুরগির ছানা। কিন্তু কেনিয়ার সরকার পরে এই বিষের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর সেখানে কাকের সংখ্যা আবার বেড়ে যায়। ফাঁদ ব্যবহার করে কাক ধরারও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাকের বুদ্ধি সাথে টেক্কা দেয়া যায়নি। কাকেরা শুধু সেই ফাঁদগুলো দেখলে চিনতেই পারতো না, যারা এগুলো বিক্রি করতে তাদেরও তারা চিনতে পারতো।
ভারতীয় কাকের জ্বালায় অস্থির কেনিয়া
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন। হামলাটি এমন সময়ে হয় যখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ঐ বাসা ছেড়ে যাচ্ছিলেন। বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বিদায় উপলক্ষে মি. মজুমদারের বাসায় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত যখন মি. মজুমদারের বাসা ত্যাগ করছিলেন তখন কয়েকজন যুবক রাষ্ট্রদূতের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বলে জানান মি. মজুমদার। মি. মজুমদার বলেন, "রাত এগারোটা সময় রাতের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যখন উনি গাড়িতে উঠছিলেন তখন একদল লোক হামলা করে।" হামলাকারীরা রাষ্ট্রদূতের গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে ঢিল ছোঁড়ে বলে জানান মি. মজুমদার। তবে মোহাম্মদপুর থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলার কোন খবর তাদের কাছে নেই বলে জানান কর্মকর্তা। বিবিসিকে মি. মজুমদার জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়ি চলে যাওয়ার পর তাঁর বাসাতে হামলা চালানো হয়। "তারা আমার বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। না পারায় ইট-পাটকেল ছুঁড়ে জানালার কাঁচ ভেঙেছে", বলেন মি. মজুমদার। মি. মজুমদারের ভাষ্য অনুযায়ী ১০-১৫ জন যুবক হামলাটি চালায়। আরো পড়তে পারেন: জিগাতলার সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা জোরদার নিরাপদ সড়ক: জিগাতলায় হামলা, শাহবাগে চকলেট ঢাকায় বাস চালান কারা, কেমন তাদের মানসিকতা? যৌক্তিকতা মানার পরও আন্দোলন কেন, সরকারি দলে 'সন্দেহ' পুলিশ কী বলছে? এ ঘটনায় জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশের সহায়তা চান মি. মজুমদার। মোহাম্মদপুর থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো: রাজিব মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ইকবাল রোডের একটি বাসায় দুর্বৃত্তরা ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে - ৯৯৯ থেকে এমন একটি খবর পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার টহল দলকে সেখানে পাঠানো হয়।" পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব মিয়া জানান ঘটনার সত্যতা যাচাই করার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সিনিয়র অফিসাররা সেখানে পরিদর্শনে যান। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান মি. মিয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক 'সুজন'এর সম্পাদকের বাড়িতে হামলা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
তরুনীটি যেখানে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন সেখান থেকে শাহ মুখদুম থানার অবস্থান একশো মিটারেরও কম দূরত্বে (প্রতীকী ছবি) জানা যাচ্ছে, শনিবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ জানাতে যান এবং থানা থেকে বের হয়েই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এই ছাত্রী গত জানুয়ারি মাসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এতদিন তারা রাজশাহীর শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। শনিবার, থানায় গিয়ে ওই তরুনী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, কোন পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। এমন অবস্থায় সংসার টেকাতে পুলিশের সাহায্য চাইছেন তিনি। পুলিশ তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। ওসি আরো বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুনীটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মামলা করতে চান কিনা। তরুনীটি জবাবে বলেন, তিনি আরেকটু ভেবে দেখতে চান এবং সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান। এর পরপরই ব্যস্ত রাস্তায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। ঘটনাস্থল শাহ মখদুম থানা থেকে একশো মিটারেরও কম দূরত্বে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। তবে কেন তিনি এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সে ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানেনা বলে জানাচ্ছেন মি. পারভেজ। গাইবান্ধার একটি পরিবারের পালিত কন্যা এই তরুনীটি। তিনি পড়াশোনার জন্য রাজশাহীতে থাকতেন। তার পালক পরিবারের একজন সদস্য বিবিসিকে জানান, তারা এই তরুনীর বিয়ের খবর এতদিন জানতেন না। একমাস আগেই তারা জানতে পারেন। তবে তিনি তার দাম্পত্য সমস্যার কোন ব্যাপারে পরিবারের কাউকে কখনো কিছু জানাননি। ফলে কেন তিনি নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন সে ব্যাপারটিও তাদের জানা নেই বলে জানান তরুনীটির পরিবারের সদস্যরা। শনিবার রাতেই রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় তরুনীটিকে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এখন চিকিৎসাধীন তিনি। সেখানকার উপদেষ্টা ডা. সামন্তলাল সেন বিবিসিকে বলেন, তরুনীটির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরের শতকরা ষাট ভাগ অংশই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আরো খবর: নতুন শর্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ করবে: মিয়ানমারের মন্ত্রী রং ফর্সাকারী ক্রিম এড়িয়ে চলুন: যুক্তরাজ্যে সতর্কতা চাঁদে পাঠানো ভারতীয় যান বিক্রমের ভাগ্যে যা ঘটেছিল বহু সৌদি সৈন্য আটকের দাবি হুতি বিদ্রোহীদের
রাজশাহীর থানা থেকে বেরিয়েই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল তরুনীটি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মিলানের একটি মেট্রো স্টেশন। গোটা ইউরোপে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইতালি। এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে সনাক্ত নতুন আক্রান্তের খবর ঘোষণা দিয়েছে। বুধবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় যে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি চীনের বাইরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করেছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী, প্রায় ৪০টি দেশের আশি হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যক চীনের বাসিন্দা। কোভিড-১৯, নামে এই ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, এ পর্যন্ত ২,৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিলানের বিখ্যাত নাইট লাইফটি ভাইরাসির প্রকোপে খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ইতালির পরিস্থিতি কী? বুধবার দিনশেষে, কর্তৃপক্ষ মোট ৪০০জন আক্রান্তের খবর প্রকাশ করে - মঙ্গলবার রাতের পর এই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জনের মতো বৃদ্ধি পেলো। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে এর উত্তরের শিল্পাঞ্চল - মিলানের আশেপাশের এলাকা, লম্বার্ডি, এবং ভেনিসের কাছে ভেনেটো শহরে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা জনসাধারণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং রোগের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকটি পাবলিক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এগারোটি শহরের - মোট ৫৫,০০০ বাসিন্দাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে যে এই প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতালি অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে পারে। মিলানে বিবিসির মার্ক লোভেন জানিয়েছেন, শহরের ক্যাফেগুলো জনশূন্য থাকায় এবং অনেক হোটেলের বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইইউর স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস, রোমে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের বলেন: "এটি উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি, তবে আমাদের অবশ্যই আতঙ্কিত হয়ে হালা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না।" "এই ভাইরাসটি সম্পর্কে এখনও অনেক বিষয় অজানা রয়ে গেছে। বিশেষত এর উৎস এবং এটি কীভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।" আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস কি বিশ্ব মহামারীতে রূপ নিতে পারে চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীন এবং সেই ভাইরাস, যা সবকিছুকেই হুমকিতে ফেলছে ইউরোপ এবং এর বাইরের পরিস্থিতি কেমন? গত দুই দিনে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জর্জিয়া এবং উত্তর ম্যাসেডোনিয়া তাদের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ইতালিতে থাকা মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন। স্পেন, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে আরও কয়েকজন আক্রান্তের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়। ডাবলিনে ৭ ও ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইতালির সাথে ছয় জাতির রাগবি ম্যাচ পিছিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। যুক্তরাজ্যে, এখন পর্যন্ত ১৩ জন আক্রান্তের খবর রিপোর্ট করা হয়েছে, করোনাভাইরাস সনাক্তের পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে যাতে লোকেরা ফ্লুর মতো লক্ষ্মণ দেখা দিলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন। ইউরোপের বাইরে, আলজেরিয়া, ব্রাজিল এবং পাকিস্তানও তাদের প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান আক্রান্তের খবরটি লাতিন আমেরিকায় এই ভাইরাসের প্রবেশের বিষয়টি সামনে এনেছে। ইরান - মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান হটস্পট - গত সপ্তাহে দেশটিতে মোট ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং ১৩৯জন আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার দেশটির সরকার জানিয়েছে যে, কোন শহর ও শহরতলীকে আলাদা করে রাখার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও তারা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ইরানি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল 'কওম' শহরে না যাওয়ার জন্য বলেছে, তবে তারা এখনও সেখানকার কোন মাজার বন্ধ করেনি। এই মাজারগুলোয় প্রতি বছর লাখ লাখ শিয়া তীর্থযাত্রীরা ভিড় করেন। চীনের বাইরে সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ায় বুধবার পর্যন্ত মোট ১২০০ জন সংক্রমিত এবং ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গ্রিসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত একজনের খবর পাওয়া গেছে। মহামারী অনিবার্য নয় ফিলিপা রক্সবি, বিবিসির স্বাস্থ্য প্রতিবেদক করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র ধীরে ধীরে চীন থেকে সরে পুরো বিশ্বে এসে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত ইউরোপে। এই পরিস্থিতিতে খারাপ সংবাদের মতো মনে হলেও এর ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যার দিকে চীনের অবস্থান শীর্ষে হলেও প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দেশটির লোকজনকে বাড়িতে থাকার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, জনসমাগমস্থলে না যেতে এবং ভ্রমণে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেই প্রচেষ্টা কাজে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, চাইলে এখনও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ যে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার নেবে সেটাও অনিবার্য নয়। এই প্রাদুর্ভাবের ফলে যুক্তরাজ্য সরকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে। জনসাধারণকে নিরাপদ রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন হলেও সেটা যেন অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ ও দায়িত্বশীল উপায়ে হয়।
করোনাভাইরাস: ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বর্ণবাদ-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে ওয়াশিংটনে পুলিশ গ্রেফতার করছে। উনিশশো আটশট্টি সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যাকাণ্ডের পর এত বড় সহিংস বিক্ষোভ আমেরিকাতে আগে হয়নি। চল্লিশটির মত বড় বড় শহরে সন্ধ্যার পর থেকে কারফিউ চলছে। বাইশটি অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় রিজার্ভ সেনা ইউনিটের ১৭হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের কাছে শুক্রবার থেকে বিক্ষোভের মাত্রা যেভাবে বাড়তে থাকে, তাতে উদ্বিগ্ন দেহরক্ষীরা কিছুক্ষণের জন্য প্রেসিডেন্টকে মাটির নীচে একটি বাঙ্কারে নিয়ে গিয়েছিল। হোয়াইট হাউজের কাছে বিক্ষোভের সময় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জার সামনে বাইবেল হাতে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু এই সঙ্কটের মধ্যেই গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি যেসব টুইট করছেন, এবং বিশেষ করে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজে যে ভাষণ তিনি দিয়েছেন, তাতে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক নিশ্চিত যে বর্ণবাদ বিরোধী এই বিক্ষোভকে মি. ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে জেতার প্রধান হাতিয়ার করতে চাইছেন। হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনের লনে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে মি. ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহর এবং গভর্নরদের একহাত নিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করেছেন, তারা যদি ‘সাধারণ মানুষের জানমাল এবং সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি সেনা মোতায়েন করে নিজেই “তাদের হয়ে সমস্যার সমাধান করে দেবেন।“ কয়েকশ বছরের পুরনো যে আইনের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট সেনা মোতায়েনের কথা বলছেন, তার জন্য গভর্নরদের কাছ থেকে অনুরোধ আসতে হবে, এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার লংবিচে টহল দিচ্ছে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা শেষবার এই আইন কার্যকর করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে লস এঞ্জেলসে পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থামাতে। তার ভাষণে মি ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, চলতি বিক্ষোভের সাথে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক কম, বরঞ্চ কট্টর বামপন্থীরা প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা এবং লুটপাট করছে। তিনি বলেন ফ্যাসীবাদ-বিরোধী সংগঠন “আ্যান্টিফা“ কে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় ঢোকাবেন। ‘আমি ল অ্যান্ড অর্ডার প্রেসিডেন্ট‘ কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা মোতায়েন করতে পারুন আর নাই পারুন মি. ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন ডেমোক্র্যটরা অথর্ব, তারা মানুষের জানমাল রক্ষা করতে পারেনা, ফলে তিনিই একমাত্র ত্রাতা, তার কোনো বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক এবং গবেষণা সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো ড. আলী রীয়াজ বলছেন, সোমবার হোয়াইট হাউজের লনে তার বিবৃতির প্রধান টার্গেট ছিল ভোটাররা। “তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল - এক, তিনি নিজেকে ‘আইন-শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট‘ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। দুই, বক্তব্য শেষ করে তিনি বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জার কাছে গিয়ে বাইবেল হাতে ছবি তুলেছেন যার লক্ষ্য রক্ষণশীল খ্রিষ্টান ভোটার গোষ্ঠী। তিন, তিনি সেকেন্ড অ্যমেন্ডমেন্ডের প্রসঙ্গ টেনেছেন যেটা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্টত্ববাদী এবং ঘরে বন্দুক রাখার পক্ষের মানুষজনের মনের কথা।“ নিউ ইয়র্কের রাস্তায় বিক্ষোভ ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির অ্যান্থনি জারকারও বলছেন, বিক্ষোভ শুরুর সাতদিন পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প “এই অসন্তোষের মূল কারণ বা পুলিশের সংস্কার নিয়ে টু শব্দও করেননি।“ বদলে তিনি নিজেকে এমন একজন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুলে ধরেছেন যিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাণ্ডারি।“ ডেমোক্র্যাটদের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে মি. ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও তার সাথে গলা মেলাতে শুরু করেছেন। নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র এবং মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি টুইট করেছেন, “তাকিয়ে দেখুন যে সব শহরে শত শত মিলিয়ন ডলারের সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে, সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতে। ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আপনাদের এই পরিণতিই হবে।“ নিউ ইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা পিটার বেকার বলছেন, সঙ্কট নিয়ে একটি ঐক্যমত্য তৈরির চেষ্টার বদলে প্রেসিডেন্ট মেরুকরণের চেষ্টায় নেমে পড়েছেন। “পুরো সঙ্কটকে একটি রাজনৈতিক বিভাজন হিসাবে দেখানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন তিনি...একজন নেতা হিসাবে তার যে মৌলিক চরিত্র তা আরেকবার স্পষ্ট হয়ে পড়েছে।“ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ট্রাম্প সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিপক্ষ অভিযোগ করছে। নির্বাচনের বছরে করোনাভাইরাস সামাল দেওয়া নিয়ে তার নিজের এবং তার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন মি ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত যে ৪০টির মত জনমত জরীপ হয়েছে, তার সবগুলোতেই তিনি সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে। নভেম্বরের নির্বাচন যেন করোনাভাইরাসের ওপর একটা গণভোটে না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করতে তার বুদ্ধিদাতারা মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন। যখনই মি. ট্রাম্প চাপের মধ্যে পড়েন, তখনই কল্পিত একটি শত্রু খাড়া করে হম্বিতম্বি, দোষারোপ শুরু করে দেন। চলতি বিক্ষোভ তিনি একইরকম আচরণ শুরু করেছেন। তিনি বলার চেষ্টা করছেন, সব সমস্যার মূল কারণ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আসলে নির্বাচনের বছরে গত পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে গেছে তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছয়মাস আগেও কল্পনাও করতে পারেননি। ‘বিভক্তি তৈরি করা ছাড়া রাস্তা নেই‘ ড. আলী রীয়াজ বলছেন, তার আশা ছিল স্থিতিশীল অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে সহজে তিনি জিতে যাবেন, কিন্তু করোনাভাইরাস সঙ্কটে পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে। কয়েক মাসের মধ্যে চার কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। “সুতরাং মূল্যবোধ-সংস্কৃতির ভিত্তিতে সমাজে একটি বিভক্তি তৈরি করে তার সমর্থকদের এককাট্টা করা ছাড়া কোনো রাস্তা মি. ট্রাম্পের কাছে এখন নেই।“ বর্ণবাদ বিরোধী সহিংস বিক্ষোভ তাকে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে সন্দেহ নেই। কৌশল কাজে লাগবে? কিন্তু মি. ট্রাম্পের এই কৌশল কি কাজে দেবে? কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছেন না যদিও এমন উদাহরণ রয়েছে আমেরিকার ইতিহাসে। উনিশশো আটশট্টি সালে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানে রিচার্ড নিক্সনের প্রধান স্লোগান ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা। সেই নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। ড. রীয়াজ বলছেন, কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পেছনে হয়তো গতবারের চেয়ে শক্তভাবে দাঁড়াবে, কিন্তু “ডেমোক্র্যাটদের একটি সরু সুতোর ওপর হাঁটতে হবে।“ তাদের দেখাতে হবে তারা আইন-শৃঙ্খলার পক্ষে, সহিংসতার বিপক্ষে আবার একইসাথে নাগরিক অধিকারের পক্ষে এবং বৈষম্যের বিরোধী। রিপাবলিকানরা আশা করছে এই ব্যালেন্স রক্ষা করা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে কঠিন হবে।“
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: বর্ণবাদ ও পুলিশ-বিরোধী বিক্ষোভকে নির্বাচনী হাতিয়ার করছেন ট্রাম্প
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বৈঠক ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে দিল্লি থেকে তাদের হাইকমিশনারকেও ইসলামাবাদে ফেরত আসতে বলেছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান ঘোষণা করেছে একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও আপাতত তারা বন্ধ করে দেবে। বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত কীভাবে কাশ্মীরে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, সেটা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তুলে ধরতে সবরকম কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতেও নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে কীভাবে উত্থাপন করা যায়, তাও খতিয়ে দেখছে পাকিস্তান সরকার। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীর: বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে কি বলছে কাশ্মীরের মানুষ এক নজরে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতিহাস কাশ্মীর: অনুচ্ছেদ ৩৭০ কেন গুরুত্বপূর্ণ? ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে পাকিস্তান কাশ্মীর তিনটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত, পাকিস্তান ও চীন ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তিই পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক এবং সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধান ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। সোমবার ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীর অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। টেলিফোন যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার সৈন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে। যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া এবং কারফিউ স্বত্ত্বেও বিক্ষোভ এবং পাথর নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় নেতাদের আটক রাখার খবরও রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'একটা শ্রেণী হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে' ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যা করতে ভুলবেন না কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিল: এক বাঙালিকে বিজেপির স্মরণ
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
আবকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে এই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু মি. পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন। সৌদি আরবের জ্বালানী মন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার কারণে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেকের সমান এটা। সংবাদদাতারা বলছে, বিশ্বের তেলের মূল্যে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকবে। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আবাকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে বিরাট অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। এসময় খুরাইস তেলক্ষেত্রে দ্বিতীয় একটি ড্রোন আক্রমণ ঘটে যা সেখানেও অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে। পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। এ হামলার জন্য যদি বিদ্রোহীরা দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কয়েকশো মাইল পথ উড়িয়ে নিতে হয়েছে হামলাকারী ড্রোনগুলোকে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এখন খতিয়ে দেখছেন হামলাগুলো চালানোর জন্য ড্রোনের পরিবর্তে উত্তর দিক থেকে ইরান কিংবা ইরাকে তাদের শিয়া মিত্রদের ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ঘটেছে কিনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইক পম্পেও'রবক্তব্য: এক টুইট বার্তায় মি. পম্পেও বলেন, ইয়েমেন থেকেই যে ড্রোনগুলো এসেছিল, তার 'কোন প্রমাণ নেই'। তার বর্ণনায় বিশ্বের তেল সরবরাহে এটি ছিল একটি নজিরবিহীন হামলা। "আমরা পৃথিবীর সব জাতিকে আহ্বান জানাই ইরানের এই হামলার প্রকাশ্য ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাতে", যোগ করেন মি. পম্পেও। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের জ্বালানী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে মি. পম্পেও আরো বলেন, "এই আগ্রাসনের জন্য ইরানই দায়ী"। হোয়াইট হাউজ বলছে, সৌদি আরব যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এজন্য তাদেরকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরো খবর: উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের বন্দরে নামতে দিল ইটালি গুপ্তচর কবুতর, কাক আর ডলফিনের কথা শুনেছেন? রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে?
সৌদি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা: ইয়েমেনের হুতি নয়, ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, এর ফলে আরো বেশি মুসলমান নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল জিনা আলি হবেন প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরবেন। পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের বহুজাতি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে সেবা নিশ্চিত করাই তাদের উদ্দেশ্য। এর ফলে আরো বেশি মুসলমান নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে। এর আগে ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তাদের পুলিশ সদস্যরা চাইলে ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরতে পারবে। ২০১৬ সালে একই রকম সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ডের পুলিশ। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মাহা শুক্কুর তার পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন কেন এত জনপ্রিয়? নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, সেকেন্ডারি পুলিশ স্কুল পরিদর্শনের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সুপারিশের পর ২০১৮ সাল থেকেই ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব সংযুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করে। নিজের পোশাকের অংশ হিসাবে প্রথম হিসাব ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন কনস্টেবল আলী। এরপর এই পোশাকের চালু করার কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কনস্টেবল আলী ফিজিতে জন্মগ্রহণ করার পর শিশু অবস্থায় নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইস্ট চার্চ সন্ত্রাসী হামলার পরে তিনি পুলিশে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ''আমি উপলব্ধি করতে শুরু করলাম, মানুষকে সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে আরও বেশি মুসলমান নারীদের অংশগ্রহণ করা উচিত,'' তিনি বলছেন। ''নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীতে আমার পোশাকের অংশ হিসাবে হিজাব তুলে ধরতে পারায় আমার খুব ভালো লাগছে,'' তিনি বলছেন। ''আমার বিশ্বাস, এটা দেখে এখন আরও বেশি মুসলমান নারী পুলিশে যোগ দিতে চাইবেন।'' তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সাকিবের পূজায় যোগ দেয়া নিয়ে যা বলছেন কলকাতার আয়োজকরা বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল অনন্য যেসব কারণে শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের?
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করলো
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
আদালত বলছে, বিস্ফোরণে সব পক্ষের দায় রয়েছে। গত শুক্রবারের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ জন। যাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়া অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা জানিয়েছেন, আদালত বলেছে তিতাস গ্যাস, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং মসজিদ কমিটি - সব পক্ষেরই দায় রয়েছে এই ঘটনায়। তবে জরুরি প্রয়োজনে আপাতত তিতাস গ্যাসকে এই অর্থ দিতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছে, আদেশের কপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তিতাসকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন করে আদালত জনস্বার্থে রিট করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জে বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন জানিয়ে এই রিটটি করা হয়। মাটি খুঁড়ে গ্যাসের লাইনে সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সোমবার থেকে শুরু হওয়া কাজ আজও অব্যাহত রয়েছে। আরো পড়ুন: মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী ? যেখানে সেখানে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন বাড়িতে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সম্ভাব্য যে দুর্ঘটনা থেকে যেভাবে সাবধান থাকবেন
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: পরিবার প্রতি পাঁচ লাখ টাকা দিতে তিতাস গ্যাসকে আদালতের আদেশ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বোরহানউদ্দিনের ঘটনার ভিডিও বলে কথিত একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে পুলিশ বলছে, ফেসবুকে নবী মোহাম্মদকে কটুক্তি করে এক হিন্দু ব্যক্তির মন্তব্যের জের ধরে গত তিনদিন ধরে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিক্ষোভ চলছিল। কিন্তু এ বিক্ষোভ কীভাবে পুলিশের ওপর সহিংস আক্রমণে পরিণত হলো - তার এক নাটকীয় বর্ণনা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল। মি. আজম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কয়েকদিন আগে থেকে ঢাকায় থাকলেও - ওই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বোরহানউদ্দিনে পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হচ্ছে তিনি তার সব খবরই ফোনে পাচ্ছিলেন, এবং প্রশাসনকে আলেম-ওলামাদের সাথে বৈঠক করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরদিন রোববার ঈদগাহ ময়দানে "তৌহিদী জনতা' নামের একটি ব্যানারে কয়েক হাজার মানুষ ওই মন্তব্যকারীর বিচারের দাবিতে সমাবেশ করে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। জনতার ক্ষোভের মুখে পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার খবর জেনেই দ্রুত হেলিকপ্টারে ভোলায় ফিরে আসেন এমপি আলী আজম মুকুল। কিন্তু তার মধ্যেই পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে যায়, যাতে চারজন নিহত হয়, আহত হন পুলিশসহ অর্ধশত মানুষ। বোরহানউদ্দিনের এসপি বললেন এমপিকে - "স্যার আমাদের বাঁচান।" সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল জানান, তিনি ঢাকায় থাকলেও বোরহানউদ্দিনে সব পক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন। তিনি বলছিলেন, রোববার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন যে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। "জেলার পুলিশ সুপার - উনি ফোন রেখে দেবার আগে আমাকে শেষ কথাটা বলেন, 'স্যার আমাদেরকে বাঁচান। আমরা মসজিদের দোতলায় ইমামের রুমে অবরুদ্ধ আছি, আমাদেরকে বাঁচান,' তার উক্তি ছিল এটাই।" "তখনই আমার মনে হলো যে এ মুহুর্তেই আমার ভোলা যাওয়া দরকার। সাথে সাথেই আমি হেলিকপ্টারযোগে ভোলা চলে আসি। দ্রুত আসার জন্য এ ছাড়া আমার উপায় ছিল না।" ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির নামে করা একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে ঘটনার সূত্রপাত - যাতে ইসলামের নবী মোহাম্মদের নামে কটুক্তি করা হয়। বিবিসি বাংলাকে সাংসদ আলী আজম বলেন, বিপ্লব চন্দ্র শুভ তাৎক্ষণিকভাবে থানায় এসে জানান যে তার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং করা হয়েছে, এবং তিনি একটি জিডি এন্ট্রি করেন। "জিডি করার পর তার মোবাইলে একটা ফোন আসে।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ভোলার ঘটনায় মামলা, হাজার হাজার আসামী ধর্ম অবমাননার গুজব তুলে হামলা, কৌশল একই ভোলায় বিজিবি মোতায়েন, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে ঈদগাহ ময়দানে সমবেত জনতা "ওপাশ থেকে একজন বলে যে 'আমি গাজীপুর থানার ওসি বলছি, তোমার মোবাইল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা জিনিস ছড়িয়ে পড়েছে, এটা আমি মুছে দিতে পারি - তুমি আমাকে ২ হাজার টাকা দাও।" "ব্যাপারটা আমার নজরে আনা হলে আমি ভোলার পুলিশ সুপারকে এবং আমার নির্বাচনী এলাকা বোরহানউদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেই দ্রুত এ ঘটনার নিরসন করার জন্য।" সাংসদ আলী আজম জানান, কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নেন এবং বিপ্লব চন্দ্র শুভকেও থানায় রাখা হয়। "পাশাপাশি যে মোবাইল থেকে ওই কলটি এসেছিল - আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারি সে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একটি ছেলে। তাকেও সেখান থেকে আনা হয়। "পটুয়াখালীর এ ব্যক্তি আবার মোবাইল সিমটি নিয়েছিলেন বোরহানউদ্দিনের একজনের কাছ থেকে। তাকেও আমরা থানা হেফাজতে এনেছি।" "রোববারের গুলিবর্ষণের আগের দিন - অর্থাৎ শনিবার রাতে - এখানে স্থানীয় আলেম-ওলামারা 'তৌহিদি জনতা'-র ব্যানারে একটি সমাবেশ ডাকেন। এতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাদের সাথে জেলা প্রশাসক, পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে একটি মিটিং করা হয়।" "এতে সবাইকে অবহিত করা হয় যে বিপ্লব চন্দ্র শুভ এবং পটুয়াখালী থেকে এ্যারেস্ট করে আনা ব্যক্তি - যে আইডি হ্যাকিং করেছে বলে আমরা সন্দেহ করছি - তারা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছে।" "এতে তারা সন্তুষ্ট হয়ে ডিসি সাহেবের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। তারা থানায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান যে রোববারের সমাবেশটি আর হবে না।" ঘটনার পর মাদ্রাসা ভবনের অবস্থা, সোমবারের ছবি "আমি তখন ঢাকায় ছিলাম, তবে আমার নির্দেশেই মিটিং হয়। মিটিং শেষে সবার সাথে আমি নিজে ফোনে কথা বলি।" তাহলে পরদিন পরিস্থিতি এত সহিংস হয়ে উঠলো কীভাবে? সংসদ সদস্য আলী আজম বলছিলেন, "আলেম-ওলামারা থানায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান যে রোববারের সমাবেশটি আর হবে না। কিন্তু সকাল দশটার সময় ঈদগাহ মাঠে লোকজন জড়ো হতে থাকে।" "এতে 'তৌহিদি জনতা'র ব্যানারে যে ইমাম সাহেবরা ছিলেন তারা এবং এসপি, এডিশনাল ডিআইজি সাহেবরা বক্তব্য দেন, মোনাজাতও করেন।" "এর পর যখন তারা চলে যাবেন তখন ঈদগাহের উত্তর দিকে মাইনকার হাট এবং দক্ষিণ দিকে দেউলা শার্শা থেকে দুটি মিছিল আসে। " "তারা বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি দাবি করে এবং সাথে সাথেই প্রশাসনের ওপর চড়াও হয়" - বলছিলেন সাংসদ আলী আজম। "এক পর্যায়ে প্রশাসনের লোকেরা আত্মরক্ষার জন্য দৌড়িয়ে ইমাম সাহেবের রুমে ঢোকে। তার পরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে আমি দেখেছি যে আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দ মানুষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন।" "কিন্তু এখানে মুসলিম উম্মাহ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে তাই আলেম সমাজের পাশাপাশি আমজনতাও জড়িয়ে গেছেন। তবে আলেমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেছেন।" কিন্তু পুলিশের ওপর আক্রমণ হলো কেন? এ প্রশ্নের জবাবে সাংসদ আলী আজম বলেন, "এটা আমি এ মুহূর্তে ব্যাখ্যা দিতে পারবো না।" "ভিডিও ফুটেজ আছে, তার বিচার বিশ্লেষণ করে পরে আমরা এ ব্যাখ্যা দিতে পারবো যে কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত।" "পিছন থেকে কেউ উস্কানি দিয়ে থাকলে সেটাও বেরিয়ে আসবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে" - বলেন সংসদ সদস্য আলী আজম। আরো পড়তে পারেন: কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল? ক্রিকেটে ধর্মঘট: এখনো 'কোন পক্ষেই নেই' মাশরাফী বিশ ডলার নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ কীসের?
ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংসতা: 'এসপি সাহেব বললেন, স্যার আমাদের বাঁচান'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
''অনেকদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেয়ার জন্য। এখন এটা চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আজ আপনাদের যখন বললাম, তখন থেকেই এটা চালু হয়ে গেছে,'' বলছেন মি. মালেক। শরীরে নির্দিষ্ট কোন রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিনা, সেটি পরীক্ষা করার জন্য শরীরের রক্তের নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কেউ করোনাভাইরাস বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা, সেটা বুঝতে পারা যায়। এর আগে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনেকবার অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরবর্তীতে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করার অনুমতি দেয়া হলেও এতদিন ধরে অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি ছিল না। আরও পড়তে পারেন: আরটিপিসিআর টেস্ট, অ্যান্টিজেন টেস্ট, অ্যান্টিবডি টেস্ট কী ও কেন? স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ''ভারত থেকে করোনাভাইরাসের ২০ লাখ টিকার ডোজ আমরা পেয়েছি। সোমবার আমাদের আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে বলে আশা করছি। এ জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।'' অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড নামের টিকাটি ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করছে। বাংলাদেশ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে। ভারত থেকে শুভেচ্ছা হিসাবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা গত বৃহস্পতিবার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২৭শে জানুয়ারি , বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী আটই ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলেছেন, প্রথম মাসে ৬০ লক্ষ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আগামী মাসেই স্কুল খুলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে - সংসদে বললেন শিক্ষামন্ত্রী ঠান্ডা কমবে কবে? এই মৌসুমে কি আর শৈত্যপ্রবাহ আসবে? 'নতুন' মধ্যপ্রাচ্যে জো বাইডেনের অগ্নিপরীক্ষা গ্রামীন এলাকায় বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, লেনদেন কীভাবে হয়?
করোনা ভাইরাস: অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
লাইভ টেলিভিশনে ঝাল মরিচ খেয়ে এই প্রতিবাদের সূচনা করেন নিকা গভারমিয়া জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থীর বিরোধীরা এক ঝাল মরিচ খাওয়ার চ্যালেঞ্জে নাম লেখাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সালোমে জুরাবিশভিলিকে তাদের এতটাই অপছন্দ যে, তাকে প্রেসিডেন্ট পদে দেখার চেয়ে তারা বরং ঝাল মরিচ খাওয়াকেই শ্রেয়তর মনে করেন। লাইভ টেলিভিশনে এই ঝাল মরিচ খাওয়ার অভিনব প্রতিবাদের সূচনা করেন রুস্টাভি-টু চ্যানেলের প্রধান নিকা গভারামিয়া। তিনি মুখে একটি আস্ত মরিচ ঢুকিয়ে বলেন, "আমার মুখের ভেতর এখন বিপর্যয় চলছে।" সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাল মরিচ খাওয়ার ছবি পোস্ট করছেন অনেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সালোমে জুরাবিশভিলিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, "যদি এই বিশ্বাসঘাতক প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে আমাদের দেশের জন্য একই ধরণের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।" কেন এই প্রতিবাদ? সালোমে জুরাবিশভিলির জন্ম ফ্রান্সে, এক জর্জিয়ান অভিবাসী পরিবারে। তিনি ছিলেন কূটনীতিক। এবার জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছেন, তিনি তাদের একজন। নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তবে জর্জিয়ার ক্ষমতাসীন দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি তাকে পেছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে। দলটির নেতা খুবই ক্ষমতাশালী ধনকুবের এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিডজিনা ইভানিশভিলি জর্জিয়ার সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পেছনে থাকেন বলে মনে করা হয়। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সালোমে জুরাবিশভিলির বিলবোর্ড। ২২ বছর বয়সী একজন ছাত্র নডার রুখাদজে বলছেন, তিনি একজন নারীবাদী হিসেবে এই মহিলা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করতে চান। কিন্তু যেহেতু সালোমে জুরাবিশভিলি দেশের স্বার্থের বিপক্ষে, তাই তাকে সমর্থন করতে পারছেন না। গত মার্চ মাসে জর্জিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার একটি যুদ্ধের দশম বার্ষিকী পালিত হয়। সেসময় সালোমে জুরাবিশভিলি মন্তব্য করেছিলেন যে জর্জিয়াই সেই যুদ্ধ শুরু করেছিল প্রথম গোলা ছুঁড়ে। ২০০৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক স্বাধীন তদন্তেও অবশ্য একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জর্জিয়ায় তার এই মন্তব্য তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে ঐ যুদ্ধে জর্জিয়ার শোচনীয় পরাজয়ই শুধু ঘটেনি, জর্জিয়া তার প্রায় বিশ শতাংশ এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছিল। আরেকজন প্রার্থী গ্রিগোল ভাশাডযেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের তাবেদার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে এক নির্বাচনী পোস্টারে। এই মন্তব্যের কারণে সালোমে জুরাবিশভিলিকে অনেক রাশিয়ার অনুগত রাজনীতিক বলে গণ্য করেন। জর্জিয়ার রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে 'রুশপন্থী' বলে গালি দেয়া একটা রীতি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন পশ্চিমাপন্থী রাজনীতিক গ্রিগল ভাশাডজে। এমনকি তাকেও রুশপন্থী বলে গালি দেয়া হচ্ছে। তার নির্বাচনী পোস্টারে কেউ রাশিয়ার গুপ্ত সংস্থা এফএসবির নাম লিখে দিয়েছে। একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকারের মতে, এটা গত ২৫ বছরের রুশ নীতির ফল। যা কিছুই খারাপ, তাকে রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে দেয়া হচ্ছে।
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঝাল মরিচ খাওয়ার চ্যালেঞ্জ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
যুক্তরাষ্ট্রেই করোনাভাইরাসের কারণে ৬৩ জনের বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩জন ছাড়িয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যুক্তরাষ্ট্র সহ করোনাভাইরাসে যেসব দেশে বাংলাদেশি মারা গেছেন সেটার একটা তালিকা করা হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, "সংখ্যাটা প্রতিদিন বাড়ছে।" প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক দপ্তর আছে সেসব জায়গা থেকে খবর আসছে নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন অথবা মারা যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে। "আমরা তালিকাটা করছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো এটা করেছে এবং তারা আমাদের তালিকা জানাচ্ছে," বলছেন মি. আব্দুল মোমেন। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। কোন দেশে কতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীরা আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে আছেন জাহিদ শিবলি, তিনি বলছেন, শুরু থেকে কেউই বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। বাংলাদেশিরাও না। এখন সবাই গুরুতরভাবে দেখছে করোনাভাইরাসকে। বাইরে বের হলে এক হাজার ডলারের জরিমানাও করা হচ্ছে যদি আপনি কোনো শক্ত কারণ দেখাতে না পারেন। ওদিকে নর্থ ডাকোটার অবস্থা বেশ ভাল বলছেন সাফিন জাহিদ। তিনি বলেন, "এখানে বাঙালীর সংখ্যা ১০০রও নিচে। প্রথম করোনা রোগি পাওয়া যায় এখানে গেলো ৩০শে মার্চ। আর এখন এর সংখ্যা ১১ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় ১ জন বেড়েছে। আর পুরো আমাদের এখানে গেলো ২ সপ্তাহ ধরে মানুষ সচেতন ভাবে চলাচল করছে।" যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাস করে বাংলাদেশি দম্পতি জিয়াউর রহমান ও সানিয়া শাম্মি। এখন পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণ গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে। নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার বাসায় কিনেএখন ঘরে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও যুক্তরাজ্য পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেনি তবু তারা সতর্কতা হিসেবে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। জার্মানির বাদেন উর্টেমবুর্গ স্টেটের হাইডেলবার্গে আছেন তাইশা তাশরিন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি আশা করছেন জার্মানিতে ইস্টারের পর কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হবে। হাইডেলবর্গের অবস্থা তিনি বর্ণনা করেন এভাবে, "নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বাদে সব বন্ধ। সুপারমার্কেটে পর্যাপ্ত খাবার আসছে। সময়মতো গেলে টয়লেট পেপারও পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে মানুষ প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ঘরে থাকায় অভ্যস্ত হচ্ছে।" করোনাভাইরাসের অন্যতম কেন্দ্র ইতালির রোমে বাস করেন শানু হাসান, তিনি বলেন, শুধু রোম নয়, পুরো ইতালিতে বাংলাদেশিরা অন্য জায়গার তুলনায় ভালো আছেন। তবে ইতালির আরেক শহর উদিনে আছেন সুলতান মাহমুদ লিখন, তিনি বলেন বাংলাদেশিরা এখনো তেমনভাবে আক্রান্ত না হলেও মানসিকভাবে খারাপ সময় পার করছেন তিনি ও তার পরিবার। ইতালিতে কাজ করা বাংলাদেশি ঔষধ গবেষক এ, এইচ, এম, সাইফুদ্দিন বলেন, "চোখের সামনে প্রতিদিন লাশ দেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা যায় না এরপরও নিজেকে সান্ত্বনা দেই নিজের দেশ, পরিবারের কথা ভেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে বাজে অবস্থা খুবই পীড়া দিচ্ছে।" বিশ্ব পরিস্থিতি: জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। প্রায় পৌনে ১৩ লাখ মানুষের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা ইটালি ১৫৮৮৭ স্পেন ১২৬৪১ ফ্রান্স ৮০৭৮ যুক্তরাজ্য ৪৯৩৪ ইরান ৩৬০৩ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?
করোনাভাইরাস: বিদেশে থাকা ৮০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ভোলার ঘটনায় ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ গত ২০শে অক্টোবরে তাদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি না মেলায় তারা সেই কর্মসূচি স্থগিত করে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি ভোলা জেলায় পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুরো জেলায় একটা থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রশাসন বলেছে, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করার অভিযোগ তুলে ভোলায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা যেন আর না ঘটে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সারাদিন ভোলা শহর এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি মোতায়েন ছিল এবং তারা টহল দেয়। ভোলা থেকে এই ঐক্যপরিষদের একজন নেতা মিজানুর রহমান বলছিলেন, অনুমতি না পেয়ে তারা গতকালই তাদের কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। "ভোলা-বরিশাল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। নোয়াখালীর সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল। এছাড়া ভোলা জেলার এক থানার সাথে আরেক থানারও সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ভোলা শহরে সারাদিন লোকজন প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।" "আমরা আমাদের প্রোগ্রামের অনুমতি না পেয়ে স্থগিত করার পরও তারা আশ্বস্ত হয়নি। সেজন্য প্রশাসন ভোলার রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবির ব্যাপক উপস্থিতি ঘটিয়ে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল।" সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে ভোলাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন বিশৃঙ্খলা এড়ানোর বিষয়কে মুল কারণ হিসেবে তুলে ধরছে। ভোলার জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, "আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে আবহাওয়া ভাল থাকবে না। সেটি একটি কারণ। আরেকটা দিক হচ্ছে, অনেক মানুষ সমাগম হতে পারে, এমন একটা ধারণা দেয়া হয়েছিল। এই দু'টি বিষয় বিবেচনা করে দুপুর পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল।" ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা এবং ইসলামের নবীকে হেয় করার অভিযোগে এরআগে তৌহিদী জনতার ব্যানারে কর্মসূচি নিয়ে এর নেতারা ভোলার প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু গত ২০শে অক্টোবর সেই বিক্ষোভ থেকে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছিল। ভোলার ঘটনায় ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল নিহতদের স্মরণে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্যপরিষদের ব্যানারে একটি স্কুলমাঠে দোয়া মাহফিল করার কথা বলা হলেও স্থানীয় প্রশাসন আবারও কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে মনে হয়েছে। সেজন্য তাতে অনুমতি না দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা রাখা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক মি: সিদ্দিক বলেন, "আবার যেনো কোন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমরা বলেছি যে, আপাতত এই কর্মসূচির অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না। যেহেতু বোরহানউদ্দিনে ২০শে অক্টোবর বিশৃঙ্খল একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেজন্য আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা এখানে সভা সমাবেশ করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে বলেছি। যাতে কোন ঘটনা এড়াতে প্রশাসনও প্রস্তুতি রাখতে পারে।" মুসলিম ঐক্যপরিষদের নেতারা বলছেন, প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং এনিয়ে তারা নেতৃবৃন্দ শনিবার নিজেরা বৈঠক করতে পারেন। তারা উল্লেখ করেছেন, প্রশাসনের সাথে তাদের চলমান আলোচনাতেও এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পদক্ষেপকে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতারা বিবেচনা করবেন বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করেন। এদিকে ২০শে অক্টোবর বিক্ষোভ থেকে যে সংঘাত হয়েছে, সে সময় বোরহানউদ্দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর এবং মন্দিরে হামলা হয়েছিল। ফলে তাদের মাঝেও আতংক ছিল । ভোলা জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, ভোলা জেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন।
বিক্ষোভের আশংকায় শুক্রবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ভোলা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
পক্ষাঘাতগ্রস্থ মানুষের দেহে স্নায়ু সচল করার সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা। সেসব রোগীরা এখন নিজেরাই নিজেদের খাবার খেতে পারছেন, মেক-আপ বা প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারছেন, টাকা গোনা বা কম্পিউটারের টাইপও করতে পারছেন। ব্রিসবেনের ৩৬ বছর বয়সী পল রবিনসন বলছেন যে, এই উদ্ভাবনী অস্ত্রোপচার তাকে এমন এক ধরনের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে যেটি তিনি কখনো কল্পনাও করেননি। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কাজকর্ম করার ক্ষমতা হয়তো এর মাধ্যমে আনা সম্ভব নয়, তবে ডাক্তাররা বলছেন এতে করে জীবনের পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: উপরের শূন্য ফ্ল্যাটে পড়ে ছিল ধর্ষিতা শিশুটির মৃতদেহ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ - কজন বিশেষজ্ঞের চোখে আধুনিক দাসত্ব: যুক্তরাজ্যে সংঘবদ্ধ চক্রের সাজা এই পদ্ধতিটি কিভাবে কাজ করে? মেরুদণ্ডে কোন আঘাত প্রাপ্তির ফলে মস্তিষ্ক থেকে কোন সংকেত শরীরের অন্য কোন অংশে আর যেতে পারে না। আর এই অবস্থার ফলেই পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হয়। যাদের বিশেষ করে কোয়াড্রিপ্লেজিয়া এফেক্ট ঘটে প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে তাদের বেশিরভাগ অঙ্গই সাড়া দেয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের উপরের বাহুর পেশী নাড়াচাড়া করার মতো অবস্থা থাকে। তখন মেরুদণ্ডের সাথে সেইসব সচল স্নায়ুগুলোর সংযোগ ঘটানো হয়। ফলে পেশীগুলো আবারো সাড়া দিতে পারে। মেলবোর্নের অস্টিন হেলথ এর ডা. নাতাশা ভ্যান জিল বলছেন, "আমার বিশ্বাস করি নার্ভ ট্রান্সফার সার্জারি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যে একটি দূর্দান্ত বিকল্প। প্রতিদিনের কাজগুলো করতে হাতের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে দেবার সম্ভাবনা তাদের জীবনে আরো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনে।" কারা এই উপকার পাচ্ছেন? পল রবসন ছিলেন এমন একজন রোগী। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইকেল দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার ঘাড়ের কাছের মেরুদণ্ড। তাকে ফিরে যেতে হয়েছিল তার মা-বাবা'র কাছে এবং তার খাবার খাওয়ার মতো কাজগুলোর জন্যে তাদের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। "আমার হাত বা হাতের আঙ্গুলগুলো নাড়াতে পারতাম না, বাহুতেও কোন শক্তি ছিল না। আর কাঁধ দূর্বল হয়ে পড়েছিল," বলছিলেন তিনি। সেবছরের ক্রিসমাসের দুই দিন আগে অস্ত্রোপচার করে তার স্নায়ু পুনঃসংযোগ ঘটানো হয়। এরপর আবার হাত নাড়ানোর পর্যায়ে যেতে তাকে নিতে হয় ফিজিওথেরাপি। পল বিবিসি'কে বলেন, "সম্প্রতি আমি আমার নিজের বাড়িতে ফিরে গেছি এবং একা স্বাধীনভাবে থাকতে শুরু করেছি। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি যে এটি আবার সম্ভব হবে।" পল এখন হুইলচেয়ারে রাগবি খেলা শুরু করেছেন এবং পড়ালেখা করছেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। কতটা নিয়ন্ত্রণ পুনরায় ফিরে পাওয়া যায়? কেউই এই চিকিৎসা পদ্ধতির পর হয়তো কনসার্টে পিয়ানো বাজাতে পারবে না, বলছেন ডাক্তাররা। ডা. ভ্যান জিল বলছেন, "আমরা হাতের একেবারে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারিনি।" তিনি বলেন যে, দুটি বিষয়ে এখানে নিশ্চিত করা হয়, একটি হলো হাত খোলা এবং বন্ধ করা। সেই সাথে কনুই সামনে বাড়ানো কোনো কিছু ধরার জন্যে। ডা. ভ্যান জিল আরো বলেন, "সুতরাং আপনি আপনার হাত খুলতে পারবেন, কোন কিছুর জন্যে সামনে বাড়াতে পারবেন এবং এরপর সেটি ধরতে বা কোন কিছুতে খোঁচা দিতে পারবেন।" "আমরা খুব সুক্ষ্ম সমন্বয়ের চেষ্টা এখানে করিনি।" যাইহোক এর ফলেও বহু মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। এটি কি সব ধরনের পক্ষাঘাতগ্রস্থদের ক্ষেত্রে কাজে আসে? সেটি নির্ভর করছে কী ধরনের আঘাত - তার ওপর। যদি আঘাতটি মেরুদণ্ডের খুব উপরের অংশে হয় যার ফলে পুরো শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়েছে, তবে সেটিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীজুড়ে অন্তত আড়াই লাখ মানুষের এমন ধরনের আঘাত থাকে যাকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। সুতরাং এই সমস্যায় আক্রান্তদের একটি বড় অংশের জন্যেই সুখবর রয়েছে বলে মনে করেন ডা. নাতাশা ভ্যান জিল। এটি কি সবসময়েই সফল হয়? না। ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৯ জনের মধ্যে ১৬ জনের ক্ষেত্রে এই স্নায়ু প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্ত্রোপচারের সফলতা নির্ভর করে কতদ্রুত এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। বলা হয়, আঘাতের ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই অস্ত্রোপচার করলে সবচেয়ে বেশি সাফল্য মেলে।
প্যারালাইজড রোগীর দেহে স্নায়ু আবার সচল করা সম্ভব?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, তাদের খোঁজে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া ১০ ব্যক্তি সাতক্ষীরা, রাজবাড়ি, খুলনা এবং যশোর জেলার বাসিন্দা। যশোরে কী হয়েছিল শুক্রবার এবং শনিবার এই দুইদিনে পালিয়ে যাওয়া ওই ১০ জন লোক যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দেশে প্রবেশের সময় তারা সবাই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, "যদিও কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের নিয়ম, কিন্তু বলা আছে যে বাংলাদেশের নাগরিক কেউ যদি কোভিড পজিটিভ হয়েও দেশে প্রবেশ করতে চান মানবিক কারণে তাকে অ্যালাও করতে হবে।" সেক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, দেশে প্রবেশ করেই তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেবেন। আরো পড়তে পারেন: দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী? যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতের সেকেন্ড ওয়েভে ভারতকে বাদ রেখে চীনের টিকা স্টোরেজ উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্মতি বাংলাদেশে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা, রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা সে অনুযায়ী ওই ১০জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে কোভিড ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুরের মধ্যে ওই দশজন রোগী পালিয়ে যান। কোভিড ওয়ার্ডে পাহারার ব্যবস্থা ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. রায় বলেছেন, "লোকে কোভিড শুনলে ভয়ে পালিয়ে যায়, কাছে আসতে চায় না। বাইরের লোক তো ওখানে যায় না। এমন একটা অবস্থায় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু এর মধ্যে কেউ যদি পালিয়ে যেতে চায়, তখন সে পর্যন্ত নজরদারি করা হয়ত অনেক সময়ই করা যায় না।" তিনি বলেছেন, হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর পাহারা বা নজরদারির জন্য আলাদা পুলিশ মোতায়েন বা এমন কোন কঠোর ব্যবস্থা নেই। মহামারি শুরুর পর যশোর জেনারেল হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। সেই কোভিড ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ৪০। সীমান্ত দিয়ে আসা মানুষদের মনিটরিং এর কী ব্যবস্থা ভারতে গত কয়েক সপ্তাহ যাবত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দেশটিতে দিনে গড়ে কয়েক লাখ মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। ভারতে এখন সংক্রমণের এক ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে সোমবার একদিনেই ভারতে সাড়ে তিন লাখের বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষ শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরণ শনাক্ত হয়েছে, বলা হচ্ছে এর কারণেই পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের সরকার রোববার সিদ্ধান্ত নেয় যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এ সময় স্থলপথে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের লোক চলাচল বন্ধ থাকবে। দুই সপ্তাহের এই নির্দেশনার প্রথম দিন আজ। কিন্তু সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করা মানেই সব কিছু পুরোপুরি বন্ধ থাকা নয়। প্রতিদিনই বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন দুই দেশের মানুষ---কেউ ফিরছেন, কেউ যাচ্ছেন। ব্যক্তি এবং যানবাহন উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের চলাচল রয়েছে। বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪ দিন বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের লোক চলাচল বন্ধ থাকবে। সেজন্য দেশের ১২টি বন্দরের মধ্যে কেবল আখাউড়া, বুড়িমারী এবং বেনাপোল---এই তিনটি স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন খোলা রাখা হয়েছে, বাকি সবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দুদেশের হাজারা হাজার লোক চলাচল করে (ফাইল ছবি) বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কেএম তারিকুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত দিয়ে আসা মানুষ এবং যানবাহনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু যারা ভারত থেকে ফিরে আসছেন তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণটি ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশংকা থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে আগত মানুষের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। যারাই আসছেন তারা ভারতে করা কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নিয়ে আসছেন। এবং এতে কারো ফল পজিটিভ হলেও, তাকে মানবিক কারণে দেশে প্রবেশের বিধান রাখা হয়েছে। যদিও নিয়ম আছে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে কেউ প্রবেশ করলে তাকে সীমান্ত থেকেই হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু সেখানেও নজরদারির ব্যবস্থা নেই, যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাগী পালানোর ঘটনাই তার প্রমাণ। বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মি. ইসলাম বলেছেন, এখনি নমুনা পরীক্ষা চালু করার ব্যবস্থা করা না গেলেও সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে আসা মানুষের প্রতি নজরদারিিএবং সীমান্ত নিরাপদ করার বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে সোমবার একটি বৈঠক করছে, যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছিল। তবে মি. ইসলাম বলেছেন, পণ্যবাহী ট্রাকের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন "ভারতীয় ট্রাকচালক যারাই আসবে, প্রথমেই সীমান্তে গাড়ির বডি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর ট্রাকচালক ব্যক্তির যেসব কাজ রয়েছে মানে তার কাগজপত্রের কাজকর্ম, মাল আনলোড করা এবং খাওয়া ও বিশ্রাম—এসব কাজ যতটা সম্ভব যেন ওই চালক গাড়িতে বসেই সারতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।" অক্সিজেনের সঙ্কট চরমে ওঠায় ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে তিনি বলেন, "বিশ্রাম এবং প্রাত:কর্ম সারতে হলে ট্রাকচালকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে তাদের সঙ্গে অন্যদের মেলামেশা হবে না।" কিন্তু মানব চলাচলের ক্ষেত্রে সাধারণত কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসার যে ব্যবস্থা, তার বাইরে আলাদা কোন নজরদারির ব্যবস্থা নেই। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত পথে ২৫শে এপ্রিল অর্থাৎ রোববার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৫৮৭ জন মানুষ, এবং ভারতে গেছেন ২১৭ জন মানুষ। একইদিনে দেশের ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১৮২৮টি ট্রাক, এবং দুইটি বোট প্রবেশ করেছে। স্বাভাবিক সময়ে দিনে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করেন সীমান্ত পথে। বন্দরে সতর্কতা পালন কতটা হয় ভারত থেকে গত সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন যশোরের সুমাইয়া আক্তার। বাবা আর স্বামীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছেন, "চেকপোস্ট যেগুলো আছে, সেখানে তেমন কিছু দেখে না। খালি পাসপোর্ট দেখে, মালপত্র দেখে, কিন্তু কোভিডের যে টেস্ট করছি আমরা সে কাগজ খুলেও দেখে নাই।" বেনাপোল দিয়েই দেশে ফিরেছেন খুলনার বাসিন্দা প্রতিমা হালদার। তিনি বলছেন, "চেকপোস্টে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কোন ধরণের কড়াকড়ি দেখি নাই আমি। আর কোন মালপত্র স্যানিটাইজ করা বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করতেও দেখিনি।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দোকানপাট খোলা রেখেই বাংলাদেশে লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে আবারো কীভাবে ১৯৪৭ সালে দু'ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর মহামারিতে কাবু ভারত, আইপিএল থেকে সরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা হেফাজতে ইসলামের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেরা মানুষদের মনিটরিং এর কী ব্যবস্থা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কোথায় বজ্রপাত হবে সেই তথ্য আগেই জানা যাবে। ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ময়মনসিংহ, সিলেট, পঞ্চগড়, নওগাঁ, খুলনা পটুয়াখালী এবং চট্টগ্রামে এই সেন্সর বসানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আটটি ডিটেকটিভ সেন্সরের যন্ত্রপাতি কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৮ বছরে বজ্রপাতের ঘটনায় ১ হাজার ৮শ'র বেশি মানুষ মারা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সম্প্রতি বজ্রপাত বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনাও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। তাই বজ্রপাতকেও একটি দুযোর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানোর কথা জানায় তারা। আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ এই সেন্সর ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য সীমিতভাবে কিছু প্রচারনা আছে আবহাওয়া দফতর এতোদিন ধরে রাডার বা স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেডিও, টেলিভিশন বা ওয়েবসাইটে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়ে আসতো। তবে এই নতুন ডিটেকটিভ সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সুনির্দিষ্ট স্থান ও সময়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মজিদুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতের সতর্কতামূলক তথ্য পাওয়ার পর তা তাৎক্ষণিকভাবে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটের রিয়েল টাইমে প্রচার করা হবে। মোবাইলে ওয়েদার অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ সেই তথ্য পাবেন। তবে এই সতর্কবার্তার ব্যাপারে ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ডিটেকটিভ সেন্সরটির কোথাও ক্রটি বিচ্যুতি আছে কিনা তা জানতে যন্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেন্সরগুলোতে ধারণ করা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ১০-১৫ মিনিট আগেই বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকানোর মাত্রা জানানো সম্ভব।। এছাড়া কোন এলাকায়, কতক্ষণ ধরে বজ্রপাত হয়েছে সে সংক্রান্ত সুষ্পষ্ট তথ্য জানা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বজ্রপাতের সতর্কবার্তার ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে এবং একেকটি সেন্সরের রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ কারণে আটটি সেন্সর দিয়ে দেশের বজ্রপাতপ্রবণ বেশিরভাগ অঞ্চলে সতর্কবার্তা দেয়া সম্ভব। যন্ত্রটি সফলভাবে তথ্য সরবরাহ করতে পারলে অনেকের প্রাণনাশের ঝুঁকি কমলেও এই সতর্কবার্তার ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে জানান মজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যদি সংকেত পাওয়ার পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা না ছাড়ে তাহলে কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে বজ্রপাতে আট বছরে ১৮০০ মানুষের মৃত্যু বাংলাদেশে বজ্রপাত কখন কোথায় বেশি হচ্ছে? উত্তর ভারতে ধুলোঝড় আর বজ্রপাতে নিহত অন্তত ৯৪ এর আগে, বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ করতে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছের চারা রোপণের কর্মসূচি নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। তালগাছ উঁচু হওয়ায় তা বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানাতে সেন্সর বসানো হয়েছে আটটি অঞ্চলে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
আলাদা ধরণের জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন প্রিন্সেস লুইজ প্রিন্সেস লুইজ ১৯৩৯ সালে মারা যান যখন তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কিন্তু তখনো তার কাছে সিগারেট কেনার জন্য অর্থ পেতো বাকিংহ্যাম প্যালেস এবং সেন্ট লুইস প্যালেসের মাঝামাঝিতে অবস্থিত আর লেউইস লিমিটেড নামের এটি প্রতিষ্ঠান। এ বছরের শুরুর দিকে প্রিন্সেস লুইজের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ। ইতিহাসবিদরা বলছেন, কারো ব্যক্তিগত নথিপত্র প্রকাশ করার বিষয়টি বেশ ব্যতিক্রমী, যেহেতু এসব নথি সাধারণত সিল করা থাকে। বিখ্যাত শিল্পী হিসাবেও পরিচিত এই রাজকুমারী ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টের ষষ্ঠ সন্তান এবং চতুর্থ কন্যা। নিজের আলাদা ধরণের জীবনযাত্রার জন্য তার বেশ পরিচিত ছিল। আরো পড়ুন: উইন্ডসর প্রাসাদে হ্যারি-মেগানের রূপকথার বিয়ে রাজপরিবারের বিয়ে: কতো খরচ হতে পারে রাজপরিবারের কেউ রাজা রানী হতে চায় না: প্রিন্স হ্যারি ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ প্রকাশিত নথিপত্র প্রিন্সেস লুইজের সম্পদ নথিপত্র অনুযায়ী, মারা যাওয়ার সময় প্রিন্সেস লুইজ ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৬০ পাউন্ড, ১৮ শিলিং এবং ছয় পেন্স রেখে যান, বর্তমানের হিসাবে যার মূল্য ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তবে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিংয়ের দাম বকেয়াই থেকে যায়। এই দেনার কারণ হয়তো তখনকার জনপ্রিয় সিগারেট ৩০০ প্লেয়ারর্স অথবা উডবাইনস, যদিও নথিপত্রে উল্লেখ নেই যে - রাজকুমারী কোন ব্রান্ডের সিগারেট খেতেন। প্রিন্সেস লুইসের জীবনীকার লুসিন্দা হকসলে বলছেন, প্রিন্সেস নিয়মিত সিগারেট খেতেন, তবে তার মা সেটি পছন্দ না করায় মায়ের কাছ থেকে সবসময়ে সেটি লুকিয়ে রাখতেন। যখন তার ভাই এডওয়ার্ড টু ১৯০১ সালে রাজা হন, তখন তিনি প্রথমবারের মতো রাজকীয় প্রাসাদের স্মোকিং কক্ষে সিগারেট খাওয়ার সুযোগ পান। রাজকীয় জীবনযাপন নিয়ে বইয়ের লেখক মাইকেল ন্যাশ বলছেন, এসব নথিপত্রের মাধ্যমে ত্রিশের দশকের একজন রাজকুমারীর জীবনযাপন সম্পর্কে একটি চটজলদি চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। মিজ হকসলের ধারণা, প্রিন্সেস লুইজের একজন অবৈধ সন্তান ছিলো, যিনি তার মায়ের স্ত্রী রোগ চিকিৎসকের ছেলে দত্তক নিয়েছিলেন। তবে এসব নথিপত্রে তার কোন উল্লেখ নেই, যদিও তার কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া অনেকের নাম রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ইন্দোনেশিয়ার সুনামি অফিসে কাজ না করেও তারা ভালো কর্মী? 'ভোটে লড়তে পারবেন জামায়াতের নেতারা' 'পর্যবেক্ষণ এইভাবে কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি' প্রিন্সেস লুইজের আঁকা একটি ছবি উইল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক তে রোডাস শ'র কাছে ৫২৫ পাউন্ড দেনা রেখে গেছেন প্রিন্সেস লুইজ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক চিকিৎসক মি. শ' পরবর্তীতে সয়াবিনের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে উইলে উল্লেখ করা হয়নি যে, ড. শ' এর কাছ থেকে তিনি কি চিকিৎসা নিয়েছিলেন। নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ছিলেন প্রিন্সেস লুইজ। মিজ হকসলের দেয়া তথ্য মতে, নিজের 'স্লিম ফিগার' ধরে রাখতে বেশ আগ্রহী চিলেন প্রিন্সেস লুইজ। তিনি বলছেন, ''প্রিন্স ফিলিপের মা প্রিন্সেস অ্যালিস বলেছেন, প্রিন্স লুইসের সঙ্গে একদিন তিনি ডিনারে বসেছিলেন, সেখানে তিনি বাঁধাকপির মাত্র কয়েকটি টুকরো খেয়েছিলেন।'' প্রিন্সেস লুইস একজন গুণী শিল্পীও ছিলেন। তার নির্মিত রানী ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য এখনো কেনসিংটন প্যালেসে রয়েছে এবং সে সময়ের প্রধান সারির অনেক শিল্পীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিলো। কেনসিংটন প্যালেসের বড় একটি অ্যাপার্টমেন্টে তিনি থাকতেন, যেখানে এখন প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার পরিবার বসবাস করে।
সিগারেট কেনার টাকা বকেয়া রেখে গেছেন রানী ভিক্টোরিয়ার কন্যা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সারা গেটন ও হামুদ খলিল গত বছর ৪১ বছর বয়স্ক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী সারা গেটন খাবার বিতরণ করতে উত্তর ফ্রান্সের ইংলিশ চ্যানেল-সংলগ্ন ওই শিবিরে যান। এই শরণার্থী শিবিরে সাত থেকে ১০ হাজার লোক বাস করেন - যারা সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে ইউরোপে এসেছেন, এবং এদের সবারই লক্ষ্য কোন ট্রেন, বাস বা ট্রাকে উঠে ব্রিটেনে ঢোকা । তার প্রণয়ী সিরীয় যুবকের নাম হামুদ খলিল। তিনি সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে পালিয়ে আসা একজন আইনের ছাত্র। দি সানডে টাইমস পত্রিকাকে তারা বলেন, তাদের মধ্যে প্রথম দৃষ্টি বিনিময়ের বেশ কয়েক দিন পর মি. খলিল সাহস সঞ্চয় করে সারার ফোন নম্বর জানতে চান। সারা গেটন বলেন, আমাদের হয়তো একটা পানশালাতে বা কোন অফিসে দেখা হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমাদের দেখা হয় ক্যালের 'জঙ্গল'-এ। 'এখানে স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে শরণার্থীদের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলছে' - সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। ক্যালের 'জঙ্গল' নামের অভিবাসী ক্যাম্প এক সপ্তাহ পর সারা লন্ডন ফিরে যান, তবে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার ক্যালেতে আসেন, এবং তখন দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। কয়েক সপ্তাহ পর মি. খলিল বিয়ের প্রস্তাব দেন। সারা গেটন এর মধ্যে আবার ইংল্যান্ড ফিরে যান, এবং তখন মি. খলিল একটি ট্রাকের পেছনে চড়ে অবৈধ পথে ব্রিটেনে প্রবেশ করেন। যদিও তিনি মিজ গেটনের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি এটা করবেন না। লডনের প্রভাতী দৈনিক মেট্রো জানাছে, মি. খলিলকে পাঁচ বছরের জন্য ব্রিটেন থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে, এবং তিনি ও সারা এখন বিয়ের পরিকল্পনা করছেন।
ক্যালের 'জঙ্গল' ক্যাম্পে পরিচয়ের পর সিরীয় শরণার্থীকে বিয়ে করছেন এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ফ্রান্সের নিস শহরে নটরড্যাম গির্জার বাইরে সশস্ত্র ফরাসি পুলিশের প্রহরা। অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ইতালির রেড ক্রসের কাগজ উদ্ধার করা হয়। গত মাসে এক অভিবাসীবাহী নৌকায় ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে আসার পরে ওই কাগজটি তাকে দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ তাকে গুলি করায় তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। নিস শহরের নটরড্যাম গির্জায় বৃহস্পতিবারের হামলার শিকার একজনকে প্রায় শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন যে এটি একটি "ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা"। মি. ম্যাক্রঁ বলেন, "গির্জা এবং স্কুলের মতো জনসমাগম স্থানগুলোতে সুরক্ষার জন্য সৈন্য সংখ্যা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার করা হবে। দেশটিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।" বৃহস্পতিবারে ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা এ মাসের শুরুর দিকে প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের একটি স্কুলের কাছে আরও একটি হামলার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন ছাত্রকে নবী মোহাম্মদের বিতর্কিত কার্টুন দেখানোর কারণে কয়েকদিন পর স্যামুয়েল প্যাতি নামে একজন শিক্ষককে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড ফ্রান্সে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। মি. ম্যাক্রঁ কার্টুন প্রকাশের অধিকার রক্ষায় কট্টোরবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তুরস্ক ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। নিস হামলার সন্দেহভাজনকে পুলিশ গুলি করার আগে সে বারবার "আল্লাহু আকবর" বলে চিৎকার করছিল বলে জানা গেছে। বর্তমানে, সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটররা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। হামলাকারীর কাছ থেকে একটি কোরান, দুটি টেলিফোন এবং একটি ১২ ইঞ্চি ছুরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর জ্যঁ-ফ্রাসোয়া রিকার্ড। "আমরা হামলাকারীর একটি ব্যাগও পেয়েছি। এই ব্যাগের পাশে দুটি ছুরি ছিল যা আক্রমণে ব্যবহৃত হয়নি," তিনি আরও বলেন। পুলিশ সূত্র বলছে হামলাকারীর নাম ব্রাহিম আউইসাউই। হামলার পরে গির্জার আশেপাশের এলাকা ঘেরাও করা হয়। নিস সফরের পরে, মি. ম্যাক্রঁ তার বক্তব্যে বলেন: "যদি আমাদের আবারও আক্রমণ করা হয় তবে সেটা হবে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের ওপর হামলা, আমাদের মাটিতে মুক্তভাবে চলার ওপর হামলা, যা কোন সন্ত্রাসবাদের সামনে মাথানত করবে না। "আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা কোনও কিছু সমর্পণ করব না।" বৃহস্পতিবার আরও দুটি জায়গায় হামলা হয়েছে, একটি দক্ষিণ ফ্রান্সে এবং আরেকটি সৌদি আরবে। পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হুমকি দেওয়ার পর ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় আভিগনন শহরের কাছে মন্টফ্যাভেটে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, সৌদি আরবের জেদ্দায় ফরাসী কনস্যুলেটের বাইরে এক প্রহরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এক সন্দেহভাজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। আহত প্রহরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরও পড়তে পারেন: ফ্রান্সের প্রতি সমর্থন ভারতে ট্রেন্ডিং, ম্যাক্রঁ বন্দনায় বিজেপি নেতা থেকে নেটিজেনরা ফ্রান্সে 'সন্ত্রাসী হামলা', তিনজন ছুরিকাঘাতে নিহত ফরাসী পণ্য বর্জন: আরব দেশগুলোকে বয়কট ঠেকানোর আহ্বান ফ্রান্সের কারা নিস হামলার শিকার হয়েছে? বৃহস্পতিবার সকালে গির্জার ভেতরে ওই তিনজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। দু'জন গির্জার ভেতরেই মারা যান। ৬০ বছর বয়সী এক নারীর প্রায় শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল, এবং ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির গলা কাটা হয়। হামলার শিকার ওই ব্যক্তি গির্জার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৪ বছর বয়সী অপর এক নারী বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েও পাশের একটি ক্যাফেতে পালাতে সক্ষম হন, তবে পরে তিনি মারা যান। পরে জানা যায় যে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী অ্যালার্ম বাড়াতে সক্ষম হন। নাগরিকদের বিশেষ সুরক্ষা দিতে নগর কর্তৃপক্ষ এই অ্যালার্মটি স্থাপন করেছিল। গির্জার কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা ক্লোই বিবিসিকে বলেছেন: "আমরা রাস্তায় অনেক লোকজনকে চিৎকার করতে শুনেছি। আমরা জানালা থেকে দেখলাম যে সেখানে অনেক অনেক পুলিশ এসেছে, এবং অনেক গুলির শব্দও পাই।" চারজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং হামলাকারীকে গুলি করে তাকে আটক করা হয় বলে পরেই সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর জানান। চার বছর আগে ফ্রান্সের এই নিস শহর ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৪ই জুলাই বাস্তিল দিবসের দিন একজন তিউনিসীয় জনতার ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে ট্রাক চালিয়ে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮৬জন নিহত হন। ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, মিশর, কাতার এবং লেবাননসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এই হামলার নিন্দা জানায়।
ফ্রান্স হামলা: হামলাকারী কয়েক দিন আগে তিউনিসিয়া থেকে এসেছিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
স্যানিটারি প্যাড কি প্রত্যন্ত এলাকার অনেকেই তা জানেনা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঋতুস্রাবের মত একটি শারীরিক প্রক্রিয়া চলার সময় মেয়েদেরকে মনে করা হয় অপবিত্র। এই প্রথাকে বলা হয় ছাউপাদি। ২০০৫ সাল থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে বেআইনি ঘোষণা করা হলেও, এখনো অনেক সমাজে তা প্রচলিত। নেপালের পশ্চিম এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন একটি গ্রাম ঢাংগাদি। এখানকার বাড়ি গুলো মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি। এখানকার গ্রামগুলোর প্রায় সব পরিবারই ছাউপাদি প্রথা পালন করে। পিরিয়ড বা 'মাসিক' শুরু হলে চার থেকে ৬ দিন তাদের বাড়ি থেকে দূরে একটি ঘরে রাখা হয়। যেন একরকম সাময়িক নির্বাসন। একই কাপড় পরে চারদিন ধরে কাটাতে হয়। ওই সময় কোনও পুরুষকে স্পর্শ করা যাবে না এবং বিশেষ কিছু খাবার খেতেও বারণ। এরপর ৬ষ্ঠ কিংবা ৭ম দিনে গরুর মূত্র দিয়ে গায়ে ছিটিয়ে তাদের ঘরে তোলা হয়। এতে 'অপবিত্রতা' দূর হল বলে মনে করেন স্থানীয়রা। লহ্মীমালা নামে স্থানীয় একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, তার নিজের বেলাতেও এমনটি ঘটেছে। তবে এখন তিনি এ‌ প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার। এখানকার পরিবারগুলোকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য-কর্মীদের আশঙ্কা, এই বিশেষ সময়টিতে বাড়ি থেকে দূরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একা দিন-রাত অবস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাব মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার তেরি করতে পারে মেয়েদের জন্য। লহ্মী বলেন, আমরা দরজায় দরজায় গিয়ে অনুরোধ করে বলছি, আপনার মেয়েকে বাড়ির বাইরে থাকতে বাধ্য করবেন না। তাদেরকে এসময়টায় ঘরের ভেতর থাকতে দিন। কিন্তু এটা খুবই কঠিন কাজ। লোকজন আমাদের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়। অভিশাপও দেয়। বেশিরভাগ সময় পুলিশ সাথে নিয়ে গ্রামগুলোতে ঢুকতে হয়। এর হার আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে বলে জানান লহ্মী। তার নিজের মেয়েকে ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে বাড়িতে নিজের কক্ষেই থাকতে দেন। কিন্তু গ্রামের ভেতর ছোট এককক্ষের ঘরে এখনও রাত কাটে অল্পবয়সী সব মেয়েদের। এসব ঘর সাধারণত মাটির। ঘরে প্রবেশের দরোজা এতই ছোট যে হামাগুড়ি দিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। কোনও কপাট নেই। তাহলে কতটা নিরাপদ বোধ করেন মেয়েরা? লহ্মী জানান, শীতের সময় একটি মশারি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। তবে অন্যসময় খোলাই থাকে। রাতে স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মীরা টহল দেয় আর কুকুর ঘোরাফেরা করে। ফলে এটা নিরাপদ। শহরাঞ্চলে এখন মেয়েদের কাছে স্যানিটারি প্যাড পরিচিত হলেও, এখানকার মেয়েরা ঋতুস্রাবের সময় পুরনো কাপড় ব্যবহার করে। স্যানিটারি প্যাড কেনার মত টাকা তাদের হাতে নেই। আবার জলের কল ব্যবহার করার অনুমতি নেই তাদের, কারণ দেবতা অসন্তুষ্ট হবে, এমনটাই মনে করা হয়। ফলে বাড়ির লোকেরা যে জল ব্যবহার করে সেটা তারা ছুঁতে পারেনা। তাই জলের প্রয়োজন মেটাতে হেটে নদীতে যেতে হয় তাদের। গ্রামের বয়স্ক লোকজন এখনও সেই প্রাচীন রীতিতে বিশ্বাসী। শঙ্কর জোশি নামে ৮৪ বছরের একজন বৃদ্ধ বলেন, "আগে তো তাদের বাইরেই থাকতে দেয়া হতো। কোনও ঘর ছিলনা। এখন তাদের ঘরের ভেতর রাখা হয়। শুধুমাত্র জলের ব্যবহারে বিধিনিষেধ রয়েছে। আমরা তো জলকে দূষিত করতে পারিনা। তাহলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বো"। কিন্তু মেয়েরা এসব আচার না মানলে বিপদের কোনও কোন ঘটনা কি আদৌ কখনো ঘটেছে? জানতে চাইলে শঙ্কর জোশি বলেন, " আমার স্ত্রী এ অবস্থায় আমাকে স্পর্শ করলে আমি অসুস্থ হয়ে যাই" । আরও পড়ুন: ওসামা বিন লাদেনের জীবনের শেষ কয়েক ঘণ্টা সাত কেজি সোনা ফেরত দিয়ে প্রশংসা কুড়ালো বিমানবন্দর কর্মী তার মত এমন করেই ভাবছে সেখানকার মানুষেরা। তবে তরুণদের বিষয়টির ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। ইয়াংকার নামে এক তরুণ যেমন মনে করে, এটা মূলত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রক্ষার বিষয়। ঋতুস্রাবের রক্ত অনেকটা বিষাক্ত ধরনের। এসময় মেয়েদের একই পোশাক পরে থাকতে হয় এবং এমনকি তাদের যথাযথ অন্তর্বাসও থাকেনা। তাদের গোসল করারও জায়গা নেই। ফলে এ অবস্থায় নারীদের রান্নাঘরে কাজ করতে দিলে সেটা স্বাস্থ্যকর হবে না"। সুতরাং বিজ্ঞান ও নারীদের কর্মতৎপরতা বিশ্বজুড়ে যখন এগিয়ে চলেছে, তখনও এসব কারণেই ঋতুস্রাবকে ঘিরে এই কুসংস্কার এখনও বহাল থেকে গেছে নেপালের বহু গ্রামীণ পরিবারের মাঝে। স্বাস্থ্য-কর্মীদের আশঙ্কা, এই বিশেষ সময়টিতে বাড়ি থেকে দূরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একা দিন-রাত অবস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাব মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার তেরি করতে পারে মেয়েদের জন্য।
নেপালে ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের ঘর ছাড়তে হয় কেন?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সাইবার হামলার শিকার হয়েছে হাজার হাজার কম্পিউটার এসব দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে 'র‍্যানসমওয়্যার' ছড়িয়ে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ডিজিটাল মুদ্রা 'বিট কয়েনের' মাধ্যমে ৩০০ ডলার করে চাওয়া হয়েছে। অনেক দেশের স্বাস্থ্য, টেলিকম বা যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত এই হামলার শিকার হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ৯৯টি দেশের কম্পিউটার এই হামলা শিকার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, স্পেন, ইটালি আর তাইওয়ান। আরো পড়ুন: অন্ধকার সাইবার জগতের এক হ্যাকারের গল্প শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মামলা দিল্লিবাসী কীভাবে এক ট্যাক্সিচালকের দেনা মেটালো জঙ্গিরা কেন পরিবারসহ আত্নঘাতী হচ্ছে? এসব দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে বড় ধরণের হামলার মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। দেশটির হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে রাখতে হয়। সাইবার হামলায় বড় ধরণের সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ স্পেনের টেলিকম ও জ্বালানি কোম্পানি, যুক্তরাষ্ট্রের ডেলিভারি কোম্পানি ফেডএক্স এই হামলার শিকার হয়েছে। বিবিসির প্রযুক্তি সংবাদদাতা জোয়ি ক্লেইনম্যান বলছেন, 'র‍্যানসমওয়্যার' হচ্ছে এমন এক ধরণের ম্যালওয়ার বা ভাইরাস, যা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং ব্যবহারকারীকে প্রবেশে বাধা দেয়। অনেক সময় হার্ডডিস্কের অংশ বা ফাইল পাসওয়ার্ড দিয়ে অবোধ্য করে ফেলে। পরে ওই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফেরত দেয়ার জন্য মুক্তিপণ বা অর্থ দাবি করা হয়। 'ট্রোজান ভাইরাসের' মতো এ ধরণের ম্যালওয়ার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা অ্যাভাস্ট বলছে, ওয়ানাক্রাই এবং ভ্যারিয়্যান্ট নামের র‍্যানসমওয়্যারের শিকার ৭৫ হাজার কম্পিউটার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন। সংস্থাটির ম্যালওয়্যার বিশেষজ্ঞ জ্যাকব ক্রুসটেক বলছেন, এটা বিশাল একটা ব্যাপার। সাইবার হামলার জন্য ইমেইল বহু ব্যবহৃত মাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে মিল দেখা গেলেও, নির্দিষ্ট করে কোন লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএর তৈরি করা একটি টুল ব্যবহার করে এই সাইবার হামলা চালানো হয়। গত এপ্রিলে শ্যাডো ব্রোকারস নামের হ্যাকাররা ওই প্রযুক্তিটি চুরি করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। গত মার্চে এটি ঠেকাতে একটি নিরাপত্তা প্যাচ ছাড়ে মাইক্রোসফট, কিন্তু অনেক কম্পিউটার তাতে আপডেট করা হয়নি। এদিকে, জানা যাচ্ছে যে, এই র‍্যানসমওয়্যারে বিট কয়েনের যেসব ওয়ালেটে অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে, সেখানে নতুন করে মোটা অর্থ জমা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ব জুড়ে বড় ধরনের সাইবার হামলা, হাজার হাজার কম্পিউটার দখল করে মুক্তিপণ দাবি
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের হয়রানির অভিযোগ নতুন নয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ঐ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে, পুলিশি অভিযানের সময় ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: পুলিশকে এড়িয়ে চলি, সহযোগিতা আশা করি না: বাংলাদেশে পুলিশ চেকপোস্টে হয়রানি নিয়ে একজনের অভিজ্ঞতা সিনেমার গোয়েন্দা আর বাস্তবের গোয়েন্দার মিল-অমিল পুলিশের এই ধরণের আচরণ কতটা আইনসম্মত? আইনজীবিদের মতে, কোনো নারী পুলিশের অনুপস্থিতিতে একজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার অনুমতি ছাড়াই সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে আইনগতভাবে অপরাধ সংঘটন করেছেন ঐ নিরাপত্তা চৌকির পুলিশ সদস্যরা। আইনজীবি তানজীব উল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ঐ নারীর সাথে তিনটি অন্যায় করেছে পুলিশ। কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছাড়া তাঁকে তল্লাশি করা, তল্লাশির সময় ঘটনার ভিডিও করা এবং ঐ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা।" আইনজীবি মি. আলমের মতে, আইন অনুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে একজন সাধারণ নাগরিককে হয়রানির দায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তায়। পুলিশের মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল রানা জানান, এই ঘটনায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তবে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত চলছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ বা অভিযান চলার সময় সেই ঘটনার ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই। তল্লাশী চৌকিতে পুলিশ। পুলিশ তল্লাশির ভিডিও ধারণ কেন? কিন্তু তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ কেন সেসব ঘটনার ভিডিও করছে? পুলিশের মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল রানা জানান, বিশেষ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে পুলিশ ঘটনার ভিডিও করে থাকে। "অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধারের মত গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের ক্ষেত্রে পুলিশ সাধারণত ঘটনার ভিডিও করে যা পরবর্তীতে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে।" তবে সম্প্রতি আলোচনায় আসা ঘটনাটির ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তকারী দল ভিডিও করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি বলে নিশ্চিত করেন মি. রানা। তবে আইনজীবিদের মত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বলছেন, প্রমাণ রাখার স্বার্থে পুলিশের ভিডিও করার এখতিয়ার থাকলেও, অনুমতি ছাড়া সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা সন্দেহাতীতভাবে বেআইনি একটি কাজ।
ফেসবুকে পুলিশ তল্লাশি চলাকালীন সময় ভিডিও প্রকাশ করা আইনসঙ্গত?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ব্যাংক খোলা থাকবে বিধি নিষেধের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে: "তফসিলি ব্যাংকসমূহের বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে আগামী ১৫ই এপ্রিল থেকে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত শুধু মাত্র কর্ম দিবসে সকাল দশটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে লেনদেন হবে বেলা একটা পর্যন্ত। সীমিত জনবল দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসসমূহের ক্যাশ কাউন্টার ও ভল্ট খোলা রাখতে হবে।" কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নতুন নির্দেশনার ফলে ১৪ই এপ্রিল থেকে সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধসহ সব ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যে নির্দেশ আগে দেয়া হয়েছিলো তা বাতিল হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আগামীকাল ১৪ই এপ্রিল থেকে ''কঠোর লকডাউন'' বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যেই সরকারি যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেখানে সব ধরনের সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। সেই আলোকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং চালু রেখে প্রয়োজনে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল। এ হিসেবে আজ মঙ্গলবার লকডাউনের আগে শেষ কর্ম দিবসে ব্যাংকগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকের শাখাগুলোর সামনে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। ব্যাপক ভিড়ের কারণে কোন কোন শাখায় নগদ টাকার সংকটের কথাও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অন্যদিকে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে খোলা থাকছে গার্মেন্টসহ শিল্প কারখানা। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখা নিয়ে নতুন নির্দেশনা পাঠানো হলে তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গ্রামীণ এলাকায় বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, লেনদেন কীভাবে হয়? ব্যাংকে সাইবার হামলার আশংকা: কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আগামীকাল থেকে সব ব্যাংক বন্ধ, টাকা তোলা যাবে যেভাবে লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হতে যা করতে হবে
লকডাউন: ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো বাংলাদেশ সরকার
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং জাপার (জাতীয় পার্টি) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, "প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্র করে নেন। আমাদের বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দিন। কিন্তু আমি জানি না, কেন সেটা হয়নি"। তিনি আরো বলেন, "না-হয় আমাদের ৪০ জনকে সরকারে নিয়ে নেন। বিরোধী দল দরকার নেই"। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি যখন দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন তাহলে জাতীয় পার্টির অবস্থানটা আসলে কী? দলেরনেতৃস্থানীয় অবস্থান থেকে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার কথা তিনি বলতে পারছেন না কেন? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। পার্টির মধ্যেকার কোন্ পরিস্থিতিতে গতকাল রওশন এরশাদ এই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন সেটা জানতে দলের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মন্তব্য করতে চাননি। একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন বিষয়টা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। দলীয় ফোরামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই নেতা জানান, দলের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে আলোচনা করে তিনি (রওশন এরশাদ) এই কথা বলেছেন কিনা সেটাও আমাদের জানা নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু এবারে নির্বাচনের বছরে এসে রওশন এরশাদের বক্তব্যকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানাভাবে দেখছেন। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি কেন মন্ত্রিসভায়? বিএনপির বিকল্প হতে চায় জাতীয় পার্টি সরকার থেকে বেরিয়ে যাবার চিন্তা করছে জাতীয় পার্টি এরশাদের পরামর্শে আমি বিরোধী নেতা:রওশন এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, "আমার কাছে পুরো বিষয়টাই হাস্যকর মনে হয়। জাতীয় পার্টি কি সিদ্ধান্ত নেবে, কিভাবে চলবে - এই সিদ্ধান্তটা জাতীয় পার্টি নিতে পারছে না। এটা সম্ভবত সরকারি দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই আসছে"। তিনি আরো বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের ইচ্ছা এবং পছন্দ অনুযায়ী কিন্তু জাতীয় পার্টি চলছে, সুতরাং সে ছাঁচে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ যেভাবে চাইবে সেভাবেই তারা চলবে"। জাতীয় পার্টির তিনজন সদস্য এখন মন্ত্রিসভার সদস্য। গতকাল এই বক্তব্য দেয়ার সময় দুইজন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। রওশন এরশাদ এই বক্তব্য যখন দিচ্ছিলেন তখন পাশ থেকে একজন এই আলোচনা বাদ দিতে বলেন। কিন্তু তিনি বলেন, "এটা তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাদ দেব কেন?" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, "এটা যদি আপনি করতেন, জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারত। আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে নেই"। মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মাঝে পড়ে জাতীয় পার্টির অবস্থা আসলেই দিশেহারা। জাতীয় পার্টির মধ্যে কয়েকটা গ্রুপ আছে, যার কারণে কয়েক দিন পর পরেই তাদের কর্মকর্তাদের পরিবর্তন দেখা যায় বলে তিনি উল্লেখ করছিলেন। এদিকে রওশন এরশাদ হতাশা প্রকাশ করে গতকাল আরো বলেন, "আমরা যখন বাইরে যাই, তখন সবাই বলে, তুমি কোথায় আছ, সরকারে না বিরোধী দলে? আমরা তো বলতে পারি না"। আরো পড়ুন: নেইমার কি এবারের বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন? স্লোভাকিয়ায় সাংবাদিক খুনের তথ্যে ১০ লক্ষ ইউরো পুরষ্কার ঘোষণা নীল নদ নিয়ে রসিকতার করায় সঙ্গীত শিল্পীর জেল জাগদল থেকে বিএনপি: রাজনীতিতে জিয়ার উত্থান
জাতীয় পার্টির দলীয় সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা: সংসদের বিরোধী দলটির নিয়ন্ত্রণ কি আওয়ামী লীগের হাতেই?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
জীবনের তাগিদে অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে শিশুদের জলবায়ু পরিবর্তন শিশুদের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেই বিষয়ে এই প্রথম কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, "জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের সবচাইতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা তাদের শিশুদের পর্যাপ্ত খেতে দিতে পারছে না, তাদের সুস্থ রাখতে পারছে না। তাদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।" প্রতিবেদনটি বলছে, খরা বা সাইক্লোনের মতো মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির অর্থ হল এতে আক্রান্ত পরিবারগুলো আরও বেশি দরিদ্র হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত পরিবারগুলো যখন ঘরবাড়ি হারাচ্ছে, তখন সেই পরিবারের শিশুরা অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থ উপার্জনের জন্য কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। এর ফলে শিশুদের নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলছে, দায়িত্ব নিতে না পেরে মেয়ে শিশুদের অনেক পরিবার দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে বিশটি জেলার শিশুরা সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত অনেক পরিবার নিজের এলাকায় সর্বস্ব হারিয়ে এক পর্যায়ে কাজের খোঁজে শহরে চলে আসছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে ঠেকানোর মোবাইল অ্যাপ এলো বাংলাদেশে সেই সব পরিবারের শিশুদের জন্য পাচার এমনকি যৌন পেশায় বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সবচাইতে ঝুঁকিতে রয়েছে এক কোটি ২০ লক্ষ শিশু। বাড়ছে মেয়ে শিশুদের বাল্যবিয়ে যাদের বসবাস বাংলাদেশে নদীপথগুলোর পাশে, তাদের ক্ষেত্রে নদী ভাঙন একটি নিয়মিত ব্যাপার। নিয়মিত সাইক্লোনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৪৫ লক্ষের মতো শিশু, যারা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের মধ্যে রয়েছে বহু রোহিঙ্গা শিশু। এসব রোহিঙ্গা শিশু খুব দুর্বল আবাসন ব্যবস্থায় বসবাস করছে। খরা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৩০ লক্ষের মতো। হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, "জলবায়ু পরিবর্তন বহু শিশুর বাল্যকাল কেড়ে নিচ্ছে।" জীবনের তাগিদে তাদের অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে এবং নিজের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বলে বলছে ইউনিসেফ। অন্যান্য খবর: নাচতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করা হলো বিমানটি পড়ে যাওয়া থামাতে পারেননি পাইলটরা ভোট নিয়ে ভারতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন?
জলবায়ু পরিবর্তন: বলি হচ্ছে প্রায় দুই কোটি বাংলাদেশী শিশু
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আইনের অধীনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশের সরকার। কারও নাম উল্লেখ না করলেও সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '', কারো মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে একটি অশান্ত তৈরি করা, এটাও কিন্তু কাম্য নয়।'' ''বাংলাদেশে তেসরা নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেরকম কোন ঘটনা তো আর ঘটেনি এখনো। যারা সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের সঙ্গেও অনেকে গাঁটছড়া বেধেছিল, আমি দেখেছি। ''কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে?'' তিনি বলেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের খবর জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও সেখানে কারাগারে লেখকের মৃত্যু, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, করোনাভাইরাসের টিকাসহ নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে। শেখ হাসিনা বলেন, ''একযুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। '' জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনও দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক---এই তিনটি শর্ত পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা। 'ডিজিটাল নিরাপত্তা সরকারের দায়িত্ব' শেখ হাসিনা বলেন, তিনি স্কুল জীবন থেকেই রাজপথে মিছিল করেছেন, পঁচাত্তর বছরে অনেক কিছু দেখেছেন। ''এদেশের সবাইকে আমার মোটামুটি চেনা আছে। কে কোথায় কি কারণে কি বলে, সেটাও আমার জানা আছে,'' তিনি বলেন। শেখ হাসিনা বলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব, বিশেষ করে কেউ যেন 'বিপথে' যেয়ে অন্যের ক্ষতি না করতে পারে। ''এই ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের দেশের ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে, এমন কোন কাজ না করা, যেটা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে,'' তিনি বলেন। ''এ ব্যাপারে আজকের দিনে বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে এটুকু বলবো, সমালোচনা যারা করার তারা তো করবেই। তারা বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে না,'' প্রধানমন্ত্রী বলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা, সেটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। ''কোনটা অপপ্রয়োগ হচ্ছে, কোনটা হচ্ছে না, এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি তো মনে করি, আইন তার নিজ গতিতে চলছে এবং চলবে,'' তিনি বলেন। আরও পড়ুন: মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি, দেশব্যাপী বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: উদ্বেগ কোথায়? উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে কী দেবে? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মসূচি আল জাজিরা কিছুদিন আগে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং তার ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আল জাজিরায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে বিভিন্ন মহলে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন'। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ'ব্যাপারে তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। ''একটি চ্যানেল কি করছে না করছে, সেটা দেশবাসী বিচার করে দেখবে। এটা কতটুকু সত্যি, কতটুকু বানোয়াট, আর কী উদ্দেশ্যে তারা সেটা করছে, সেটাও বড় কথা,'' তিনি বলেন। করোনাভাইরাস টিকা দেশের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি টিকা নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি কবে টিকা নেবেন, এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি টিকা অবশ্যই নেবেন কবে তার আগে দেশের মানুষ কত পার্সেন্ট নিতে পারলেন, সেটা আগে দেখতে চান। ''কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাচে, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমাদের একটা টার্গেট করা আছে। সেই সংখ্যা পর্যন্ত যখন হবে, তারপরে আমারটা আমি নেবো। তখন যদি টিকা থাকে, তখন আমি নেবো,'' তিনি বলেন। পরিসংখ্যানে এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। নিউইয়র্কে ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পরিগণিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতি কালীন সময় ভোগ করবে। 'আমাদের অপরাধ কী?' তিনি সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, যাদের বিচার হয়েছে, তাদের দোসররা চুপ করে বসে থাকবে না। ''তাদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতি লুটপাটে যারা জড়িত, তাদেরও বিচার হয়েছে,'' তিনি বলেন। ''যাদের বিচার হয়েছে, তাদের দোসর, পরিবার, তারা চুপ করে থাকবে নাকি? তাদেরও কিছু ইন্ধন রয়েছে।'' ''আর বাংলাদেশের রাজনীতিতেও মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত মিথস্ত্রিয়া দেখা যায়। আলট্রা রাইট, আলট্রা লেফট সময় সময় এক হয়ে যায়। আমাদের অপরাধটা কি, সেটাই তো আমার বড় প্রশ্ন,'' বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ''তারা বাংলাদেশের উন্নতি কীভাবে মানবে? তারা বাংলাদেশের বদনাম করবেই। তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, সেই সক্ষমতা রয়েছে। কোন চ্যানেল কি করলো বা বললো, সেটা শুনে আমার রাজনীতি না,'' তিনি বলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহবান বাংলাদেশের খাসোগজি হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ, বলছে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন না শামীমা বেগম খাসোগজি হত্যা রিপোর্ট প্রকাশের আগে সৌদি বাদশাহকে বাইডেনের ফোন
শেখ হাসিনা : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচকরা ‘বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে না’
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
২০১৫ সালের নভেম্বরের হামলার পর থেকে প্যারিসে সতর্কাবস্থা জারি রয়েছে সংস্থাটি বলছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখন ইসলামিক স্টেটের অনেক জঙ্গি ইউরোপে ফিরে আসার চেষ্টা করবে। কয়েক ডজন জঙ্গি এরই মধ্যে হয়তো ইউরোপে ঢুকে পড়েছে, যাদের হামলা চালানোর মত সক্ষমতা আছে। এরা হয়তো গাড়ি বোমা হামলা, অপহরণ এবং চাঁদাবাজীর মতো কাজে লিপ্ত হতে পারে। তবে পরমাণু কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশংকা নাকচ করে দিয়েছে ইউরোপোল। সংস্থাটি বলছে, ইসলামিক স্টেট মূলত 'সফট টার্গেটে' হামলা চালানোর পক্ষপাতী। সিরিয়া থেকে যে শরণার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের কাউকে কাউকে ইসলামিক স্টেট 'রিক্রুট' করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশংকা করছেন ইউরোপীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। ২০১৫ সাল থেকে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার পর ইউরোপে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিপদ নিয়ে নতুন আশংকা তৈরি হয়েছে। সেবছরের জানুয়ারীতে প্যারিসে শার্লি হেবদো রঙ্গ ম্যাগাজিনের অফিসে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঐ সাময়িকির সম্পাদক সহ অনেককে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্যারিসের এক কনসার্ট হলে, বিভিন্ন বার এবং রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহত হয় ১৩০ জন। এ বছরের মার্চে ব্রাসেলস বিমান বন্দরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় ৩২ জন। ১৪ই জুলাই বাস্তিল দিবসের শোভাযাত্রার সময় ফ্রান্সের নিস শহরে জনতার ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয় আশি জনের বেশি। এ বছরের জুলাইতে ছোট আকারে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় জার্মানিতে। এসব হামলায় নিহত হয় দশজন। ইউরোপোলের পরিচালক রব ওয়েইনরাইট বলেছেন, ইউরোপে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঝুঁকি যে এই মূহুর্তে কত বড়, তা সবাই স্বীকার করেন। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় সবার সহযোগিতা দরকার।
'মধ্যপ্রাচ্যে কোণঠাসা ইসলামিক স্টেট হামলা চালাতে পারে ইউরোপে'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একুশে বইমেলার কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঢাকায় বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রাঙ্গণের বাইরে ফুটপাতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিলো লেখক অভিজিৎ রায়কে। একই সঙ্গে আহত হয়েছিলেন সাথে থাকা তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। সেই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, এই হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনী থেকে চাকরীচ্যুত মেজর জিয়াসহ মোট ১১ জন জড়িত। "সব তথ্য মিলিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে এ ঘটনার মূল মাস্টারমাইণ্ড সেনাবাহিনী থেকে চাকরীচ্যুত পলাতক মেজর জিয়া। যার নেতৃত্বে মোট ১১ জন এ ঘটনা সংঘটিত করেছে," ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। মিস্টার ইসলাম বলছেন, " সবার নাম ঠিকানা আমরা পাইনি। ছয় জনের পাওয়া গেছে ও এই ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিচ্ছি।" "গ্রেফতারকৃত তিন আসামী মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান শামস ও আবু সিদ্দিক সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। অন্য কারা জড়িত, কিভাবে ঘটনা হয়েছে, কেন হয়েছে সব তারা বর্ণনা দিয়েছে"। পুলিশের ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, এর আগে র‍্যাবের হাতে আটক শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে এ ঘটনার প্ররোচনার অভিযোগ মিলেছে ও ফারাবী ফেসবুক ও অন্য জায়গায় অভিজিৎ রায় হত্যার জন্য উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়েছে। বাকী দুজন অর্থাৎ মেজর জিয়া নিজে এবং আরেকজনের নাম আকরাম যাদের এখনো আটক করা যায়নি। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড: সন্দেহভাজন ৬ জনের ভিডিও প্রকাশ অভিজিৎকে হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আল কায়দা অভিজিৎ হত্যায় জড়িত সাতজনকে 'চিহ্নিত করেছে' পুলিশ এখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি খুন হয়েছিলেন অভিজিৎ রায়। তিনি মুক্তমনা নামের একটি ব্লগ পরিচালনা করতেন। এর কয়েক মাস পর ৭ই জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো যে তারা অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত সাতজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। সেসমেয় গোয়েন্দা পুলিশের তখনকার মুখপাত্র মুনতাসীরুল ইসলাম ব্রিফিং করে বলেছেন, অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় চিহ্নিত সাতজনই সরাসরি জড়িত, এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তার মতে, চিহ্নিতদের একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেছে এবং বাকিরা ঢাকায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সাতজনই সচ্ছল পরিবারের এবং তারা আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তবে এদের কাউকেই পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। এরপর বিভিন্ন সময় এ ঘটনার তদন্ত নিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য এসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে। সর্বশেষ এখন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আজ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলো আদালতে। আরো পড়ুন: 'অনেক কবি-লেখক বলেছেন, বইটি প্রকাশ করো না' একুশে বইমেলা: ভয়ের ছায়া এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় লেখক-প্রকাশকদের
অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড: মেজর জিয়াসহ ১১ জনকে দায়ী করে চার্জশীট
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
তারা চাইছেন, জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করা হোক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করা হোক। সুইডেনের কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের শুরু করা এই বিক্ষোভে সামিল হওয়ার জন্য ১১ লক্ষ শিশু ২০শে সেপ্টেম্বর তাদের ক্লাস বর্জন করে। বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়, এখানে তার কিছু ছবি: মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া ব্রিটিশ টিভি ব্রডকাস্টার এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনকারী স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর ছবি নিয়ে একজন বিক্ষোভকারী (ওপরে)। ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ড ব্যাঙ্ককের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবশে মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা মৃত মানুষের মতো পড়ে থাকেন। বার্লিন, জার্মানি বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট-এর সামনে জড়ো হন জলবায়ু পরিবর্তনের বিক্ষোভকারীরা। এডিনবরা, ব্রিটেন এডিনবরায় বিক্ষোভ লন্ডন, ব্রিটেন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারের বিখ্যাত নেলসনস কলামের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে। কেমব্রিজ, ব্রিটেন সাদাম্পটন, ব্রিটেন সাদাম্পটনে এক্সিটিংশন রেবেলিয়নস রেড লেবেল-এর সদস্যরা লাল পোশাক পরে বিক্ষোভে অংশ নেন। ব্রাসেলস, বেলজিয়াম ঢাকা, বাংলাদেশ ঢাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর আন্দোলনে যোগ দেন। কার্বন নি:সরণ কমানোর দাবিতে ঢাকার একটি স্কুলে মানব বন্ধন। নাইরোবি, কেনিয়া ওয়ারশ, পোল্যান্ড লজ, পোল্যান্ড প্রাগ, চেক প্রজাতন্ত্র প্রাগের কেন্দ্রস্থলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিক্ষোভ চলে। কেজন সিটি, ম্যানিলা ম্যানিলার পূর্বপ্রান্তে কেজন সিটিতে ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। নয়া দিল্লি, ভারত কলকাতা, ভারত সানুর সৈকত, বালি, ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর দাবিতে বিক্ষোভে সামিল লক্ষ লক্ষ মানুষ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তৈরি পোশাক শিল্পে বর্তমানে একজন নতুন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৫৩০০ টাকা যদিও এর সাথে দ্বিমত করছে কিছু কিছু শ্রমিক সংগঠন। এছাড়া মজুরি বোর্ডের কাছে মালিকেরা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করছেন ৬,৩৬০ টাকা। এ বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নতুন করে নির্ধারণের জন্য একটি মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। সে বোর্ডের তৃতীয় বৈঠকে আজ মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মজুরি হিসেবে নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এতে দেখা যায় শ্রমিকদের প্রতিনিধি ১২ হাজার ২০ টাকা ন্যূনতম মজুরি হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। মজুরি বোর্ডে নির্বাচিত শ্রমিক প্রতিনিধি বেগম শামসুন্নাহার ভুঁইয়া বলছেন, আগের মজুরি বোর্ডের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তিনি এ প্রস্তাব করেছেন। "শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর ভিন্ন ভিন্ন মজুরির দাবি ছিল। কারো ছিল ১৬ হাজার টাকা, আবার কারো ১৮ হাজার টাকা। আমি সার্বিক বিষয় চিন্তা করে ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ২০ টাকা প্রস্তাব করেছি।" "আমি হিসাব করেছি ২০১০ সালে শ্রমিকদের দাবী কত টাকা ছিল, আর কত টাকা পেয়েছে, আর ২০১৩ সালে দাবী কত টাকা ছিল আর কত টাকা পেয়েছে। এখন আমি ১৬ হাজার টাকা দাবি করলাম, কিন্তু পাওয়ার সময় যদি সেটা এক তৃতীয়াংশ হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা হবে। সেজন্য আমি ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করেছি।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: যে শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরী সবচেয়ে বেশি ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা বেতন চান পোশাক শ্রমিকরা নতুন ওয়েজ বোর্ডে শ্রমিক সংগঠনগুলো এবং মালিকরা আলাদা নিম্নতম মজুরি দাবি করেছেন মিসেস ভুঁইয়া জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক। এই মূহুর্তে তৈরি পোশাক শিল্পে একজন নতুন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৫,৩০০ টাকা, যা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়। এর মধ্যে মূল মজুরি ৩ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ১২০০ টাকা এবং চিকিৎসা, যাতায়াত ও খাদ্য ভাতা ১১০০ টাকা। এদিকে, মিসেস ভুঁইয়ার ১২ হাজার ২০টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত করছে কিছু শ্রমিক সংগঠন। মজুরি বোর্ড গঠনের আগে থেকেই শ্রমিকদের একটি বড় অংশ ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে আসছিলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলছেন, আজ শ্রমিক প্রতিনিধি যে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন, তার সাথে পোশাক শ্রমিকদের বড় অংশ একমত হবে না। ফলে ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, "আমরা মনে করি শ্রমিকদের মজুরি এখন ১৬ হাজার টাকাও যথেষ্ঠ না, কারণ বাজারে সব জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে, আর আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি যা হওয়া উচিত কোনটাই শ্রমিকেরা পাচ্ছেন না। ফলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।" এদিকে, পোশাক মালিকেরা আরো কম ন্যূনতম মজুরি দিতে চান। কাজে যোগ দেবার জন্য লাইন দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বোর্ডে মালিকদের প্রতিনিধি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, তারা ন্যূনতম মজুরি ৬,৩৬০টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, শ্রমিকদের বর্তমান ন্যূনতম মজুরি এবং পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই তারা এমন প্রস্তাবনা দিয়েছেন, যা বাস্তবায়নযোগ্য। "আমরা ৬,৩৬০ টাকা প্রস্তাব করেছি। আমরা বিবেচনা করেছি গত পাঁচ বছরে মূল্যস্ফীতি কতটুকু হয়েছে। এখন তারা বেশি দাবি করেছে, দাবি করলেই তো হবে না, তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে কেন তারা এমনটা চাচ্ছে।" "তবে, তাদের প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমাদেরটা আমরা দিয়েছি। এখন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আছেন, নিরপেক্ষ সদস্য, স্থায়ী সদস্য আছেন, সবাই মিলে যেটা পারি, সেটাই নির্ধারণ করবো।" এ বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা অক্সফাম এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের সাতটি প্রধান তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরিই সবচেয়ে কম। অক্সফ্যামের রিপোর্টটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য নিম্নতম মজুরি প্রয়োজন ২৫২ মার্কিন ডলারের সমান অর্থ। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের একজন শ্রমিক মজুরি পান প্রায় ৬৭ মার্কিন ডলারের সমান অর্থ। আরো পড়তে পারেন: যে শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরী সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় সমতা: বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ যেখানে নারীর হাতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশে গার্মেন্ট শ্রমিকরা চান ১২ হাজার, মালিকরা দিতে চান এর অর্ধেক
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে ওয়াশিংটনে ওয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলছেন, সতর্কতা হিসেবেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ান ওয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের কিছু 'হাল্কা উপসর্গ' দেখা দেয়, কিন্তু বুধবার রাতে ৭৪-বছর বয়স্ক মি. ট্রাম্প জানান যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া কোয়ারান্টিন-এ গিয়েছেন। ওয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলছেন প্রেসিডেন্টকে সতর্কতা হিসেবে ওষুধ দেয়ার পর তিনি 'ক্লান্ত কিন্তু ভাল মেজাজে' ছিলেন। ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভাল মেজাজে আছেন, কিছু হাল্কা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এবং তিনি সারা দিন কাজ করেছেন,'' ওয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়। আমেরিকায় বিবিসির সহযোগী গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানাচ্ছে, মি. ট্রাম্পের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হাল্কা জ্বর। ''ব্যাপক সতর্কতার জন্য এবং তাঁর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আগামী কয়েকদিন ওয়াল্টার রিড-এর প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস থেকে কাজ করবেন,'' বিবৃতিতে বলা হয়। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট অসুস্থতার কারণে কাজ না করতে পারলে তিনি তাঁর দায়িত্ব ভাইস-প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যস্ত করতে পারেন। অর্থাৎ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাময়িক ভাবে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার পর বিধ্বস্ত বিমানটি দেখছেন। গত বছর বেসরকারি বিমান ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট নেপালে বিধ্বস্ত হলে মোট ৫১ জন নিহত হন, যাদের যার মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এর পর এই একই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ফাটা চাকা নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে অবতরণ করে। এ বছরের এপ্রিল মাসে বিমান বাংলাদেশের একটি বিমান সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের বিমানের বড় ধরনের দুর্ঘটনার ইতিহাস না থাকলেও সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা নিরাপত্তার ব্যাপারে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করেছে। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত কারণে প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয় রুহিনা তাসমিনকে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, সবশেষ বুধবারের বিমান দুঘর্টনার পর বাংলাদেশ বিমানে চলাচল করতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। তার মত আরো অনেকেই একই ধরনের উদ্বেগের কথা বলেছেন। বেসরকারি বিমান চলাচল এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ টি এম নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দুটি দিক বিবেচনায় নিতে হবে। আরো পড়তে পারেন: প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় মিয়ানমারে বিমান আছড়ে পড়ার মুহূর্ত বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে আসলে কী দেখা হয়? বিমানটি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় ছিটকে রানওয়ের বাইরে চলে যায়। মি. ইসলাম বলেন, "একটা প্রশিক্ষণ আর আরেকটা রক্ষণাবেক্ষণ। এই দুটা জায়গা ঠিক রাখতে হবে" যেকোন বিমান দুর্ঘটনার পর পাইলটের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশের একজন সাবেক পাইলট সায়িদ মাহবুব হেলাল বলেন, পাইলটদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। সেটা কাটিয়ে উঠতে না পারলে আরো বড় ধরনের বিপর্যের আশঙ্কা রয়েছে। সিভিল এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেছেন, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা বাড়ানোর সময় এসেছে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান মো. নাঈম বলেছেন, "প্রতিদিনের চেকআপের কাজ এয়ারলাইন্সগুলোর। আমরা ছয় মাস বা একবছরে একবার চেক করি। কোন নিয়মের ব্যাতয় হলে আমরা সার্টিফিকেট বাতিল করি, জরিমানাসহ নানা ধরনের ব্যাবস্থা নিয়ে থাকি" মিয়ানমারে বিমান দুর্ঘটনা: ইয়াঙ্গুন হাসপাতাল অবস্থা কেমন ছিল আরো পড়তে পারেন: যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাজীব প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন? বাজারে ৫২টি খাদ্যপণ্যেই ভেজাল: বিক্রি চলছে বিভিন্ন দেশে শিশুর যেসব নাম রাখা নিষেধ
বাংলাদেশের বিমান দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার জন্যে কী করছে কর্তৃপক্ষ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ট্রান্সজেন্ডার বিলটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ভারতের ট্রান্সজেন্ডার সমাজের পক্ষ থেকে এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, তারা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। তারা বলছেন, এই আইনে যেভাবে তাদের জেলা প্রশাসকের সামনে হাজির হয়ে অস্ত্রোপচারের প্রমাণ দাখিল করে ট্রান্সজেন্ডার সার্টিফিকেট জোগাড় করার কথা বলা হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। অনেক বিরোধী দলীয় এমপি-ই এই বিলটিতে নানা সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিলেন, কিন্তু তার একটিও গ্রহণ না-করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপি সরকার এই বিলটিকে রাজ্যসভায় পাস করিয়ে নেয়। ভারতের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট, তার মন্ত্রণালয়ই বিলটি এনেছে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস (প্রোটেকশনস অ্যান্ড রাইটস) বিল ২০১৯ রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেলেও এই আইন যাদের জন্য আনা, তারাই কিন্তু মনে করছেন এতে ভারতে তাদের জীবনযাপন আগেকার চেয়েও কঠিন হয়ে উঠবে। তিনদিন আগে রাজধানী দিল্লিতে যখন তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডার-ভুক্ত মানুষজন 'প্রাইড' র‍্যালিতে সামিল হন, এই বিলের বিরুদ্ধে তখন থেকেই তারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন, বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলছিলেন। একজন ট্রান্স আন্দোলনকারী বলছিলেন, "এই বিলটিতে তিনটি প্রধান সমস্যা আছে। প্রত্যেক মানুষের অধিকার থাকা উচিত নিজের লিঙ্গ কী হবে সেটা নিজেরই নির্ধারণ করার, সেই আত্মস্বীকৃতির অধিকার এখানে নেই।" "দ্বিতীয়ত, ট্রান্স-দের যে পরিবারে জন্ম সেখানেই যদি তাদের থাকতে বাধ্য করা হয় তাহলে তাদের ওপর ভায়োলেন্সের সম্ভাবনা বাড়ে।" দিল্লির রাজপথে 'প্রাইড' পদযাত্রা। ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ "আর তৃতীয়ত, নারীদের ধর্ষণ করলে যেখানে কম করে সাত বছরের জেলের বিধান আছে সেখানে ট্রান্স-দের ধর্ষণ করলে কেন ছমাস থেকে দুবছরের সাজা হবে? এই শাস্তির ব্যাপারেও তো সমতা আনা দরকার।" নতুন আইনে বলা হয়েছে, কারও ট্রান্সজেন্ডার পরিচিতির আইনি স্বীকৃতি পেতে হলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য খবরঃ হোলি আর্টিজান হামলা: সাতজনের মৃত্যুদণ্ড আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটার সাইফের জরিমানা ভারতে ৫৯ 'বাংলাদেশি' বন্দীর অনিশ্চিত ভবিষ্যত তারপর নারী থেকে পুরুষ অথবা পুরুষ থেকে তিনি নারী হয়েছেন, সেই অস্ত্রোপচারের প্রমাণ দেওয়ার ভিত্তিতে তিনি সার্টিফকেট পাবেন। সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া ব্চ্চন পার্লামেন্টে এই ধারাটিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেন, "সার্টিফিকেশনের এই পদ্ধতিটাই মানবতার জন্য অপমান।" সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন "চেহারা, আচার-ব্যবহারে যারা অন্য কোনও মানুষের চেয়ে কোনওভাবে আলাদা নয় তাদের কেন একটি কমিটি বা ডিএমের কাছে গিয়ে বলতে হবে যে আমি ট্রান্সজেন্ডার? এভাবে কোনও মানুষকে আমরা অপমান করতে পারি না।" কিন্তু বিরোধীদের তোলা কোনও সংশোধনীই শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয়নি - যার পরিণতিতে এদিন প্রতিবাদে ফেটে পড়েন ট্রান্সজেন্ডার, ইন্টারসেক্স ও জেন্ডার নন-কনফর্মিং সমাজের শত শত মানুষ। দিল্লির সাসা যেমন বলছিলেন, "এই ট্রান্স রাইটস বিল প্রস্তুত করার আগে আমাদের সমাজের কারও সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি, কোনও মতামত চাওয়া হয়নি।" "কেউ আমাদের কাছে জানতে চায়নি সমাজে মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য আমরা কী চাই।" এ বছর প্রাইড র‍্যালি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরেও। ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ব্যাঙ্গালোরের রোসা ফেলিসিয়া আবার বলছিলেন, "একজন সরকারি কর্মচারী বলে দেবেন আমরা ট্রান্স কি ট্রান্স নই, এই ভাবনাটাই তো অত্যন্ত নিপীড়নমূলক।" "এতে আমাদের সঙ্গে বৈষম্যই আরও বাড়বে, আর তাই দেশের এলজিবিটিকিউএ কমিউনিটি এই বিল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে।" তবে পার্লামেন্টেই বিজেপি এমপি রূপা গাঙ্গুলি আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই বিল ট্রান্সজেন্ডারদের অনেক সুবিধেও দিয়েছে। তিনি বলেন, "ট্রান্সদের ক্ষেত্রে একটা যেমন শারীরিক দিক আছে, তেমনি আছে মনস্তাত্ত্বিক দিকও।" পার্লামেন্টে বিলটিকে সমর্থন করেছেন বিজেপির এমপি রূপা গাঙ্গুলি "কেউ যৌনাঙ্গের গঠনে অসম্পূর্ণতার কারণে ট্রান্স, কারও আবার সব কিছু ঠিকঠাক হয়েও মানসিক কারণে তিনি মনে করেন বিপরীত লিঙ্গের - তিনিও ট্রান্স।" "এই মানুষগুলোর স্কুলে পড়াশুনো, চাকরি পাওয়া, বাড়ি ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর কোনও বৈষম্য চলবে না - চাকরি পাওয়ার পর কেউ নিজেকে ট্রান্স ঘোষণা করলে সেই চাকরি খাওয়াও যাবে না।" "পরিবারও তাদের ফেলতে পারবে না, আবার কোনও সমাজের কেউ এসে তাদের জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে, সেটাও হবে না", বিলটিকে সমর্থন করে বলেন তিনি। নতুন আইনে এরকম বেশ কিছু অধিকারের কথা বলা হলেও ট্রান্সজেন্ডাররা নিজেরাই মনে করছেন বিলটির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে - কারণ তাদের মতে এই আইন তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
ভারতে ট্রান্সজেন্ডার আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদঃ "নিজের লিঙ্গপরিচয় নির্ধারণ করার অধিকার আমার নিজের"
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি বর্তমানে ১২% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে ধূমপানকে এবং ৭% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজনকে চিহ্নিত করা হয়। তবে ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় এবং নারীদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়তে থাকায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে যে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ধূমপানকে ছাড়িয়ে ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হবে অতিরিক্ত ওজন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র এক ধারণা অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের ১০% (প্রায় ২৫ হাজার জন) এর ক্যান্সারের কারণ হবে ধূমপান এবং ৯% নারীর (প্রায় ২৩ হাজার জন) ক্যান্সারের কারণ হবে অতিরিক্ত ওজন। আর এই ধারা বজায় থাকলে, ২০৪৩ সালের মধ্যে ধূমপানের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেশি থাকবে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দিশেহারা রোগীরা ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে স্বর্ণ: গবেষণা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বেশি ঝুঁকিতে নারীরা পুরুষদের মধ্যেও স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন বেশ সাধারণ একটি বিষয়। তবে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে অন্ত্র, গল ব্লাডার, কিডনি, লিভার, স্তন, জরায়ু ও থাইরয়েডের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর নারীদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার হবার প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত ওজন হলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে নারীদের মধ্যে। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, গত এক দশকে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার হার বেড়েছে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ লিন্ডা বওল্ড বলেন শৈশবে অতিরিক্ত ওজন যাদের ছিল, প্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালীন তাদের দৈহিকভাবে স্থূল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি থাকে। ক্যান্সার সেল 'পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই' মিজ বওল্ড বলেন, "স্থূলতা আর ক্যান্সারের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে এবং শিশুদের এ সম্পর্কে সচেতন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এখনই।" মিজ. বওল্ড জানান 'কম স্বাস্থ্যকর' খাবারের বিজ্ঞাপনে মূল্য প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ এবং রাত ৯টার আগে টেলিভিশনে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মত নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন বছরের পর বছর ধূমপানের কারণে হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রচারসহ সিগারেটের ওপর শুল্ক আরোপ, তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা সহ বিভিন্ন নীতি যে কাজে এসেছে, তার প্রমাণ হলো গত কয়েক দশকে যুক্তরাজ্যের মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাওয়া। মিজ বওল্ড বলেন, "ধূমপানের পর এবার ক্যান্সারের আরেক প্রধান কারণের বিরুদ্ধেও আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনে রাজি ড. কামাল এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন মাত্রা
ক্যান্সারের ঝুঁকি: 'অতিরিক্ত ওজন নারীদের জন্য বেশি মারাত্মক'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নেপালে বাংলাদেশি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর নানা আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। বাংলাদেশি একটি বিমানটি এমন সময় দুর্ঘটনার শিকার হলো যার কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা 'আইকাও' নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশে একটি নিরীক্ষা চালিয়েছিল। আইকাও'র ওই অডিটে ইউএস বাংলা এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেই নমুনা হিসেবে নেয়া হয়েছিল। অবশ্য আইকাও'র সেফটি অডিটে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলেই উঠে আসে। গত ১২ই মার্চ ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। ঐ ঘটনায় আহত হন ১০ জন বাংলাদেশি, নয় জন নেপালি এবং মালদ্বীপের একজন নাগরিক। প্রাকৃতিক কারণে, মানুষের কোনো ভুল বা কারিগরি ত্রুটি প্রধানত এই তিনটি কারণেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। গত ১২ই মার্চ ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী নিহত হন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, নেপাল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সময় এখনো আসেনি। এজন্য দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয় ফ্লাইটটি। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক সেফটি এন্ড রেগুলেশন্স চৌধুরী মোঃ জিয়াউল কবীর জানান, নিরাপত্তা ইস্যুতে এক যায়গায় থেমে থাকার কোনো সুযোগ নাই। দুর্ঘটনা হোক বা না হোক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিদিনই একটা নতুন দিন। নেপাল দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। "আমরা প্রত্যেকটা এয়ারলাইনে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করেছি। বৈঠক হয়েছে। সবারটা র‍্যান্ডম চেক করা হয়েছে।" "আমাদের রেগুলার যে অ্যাক্টিভিটিস আছে সেটি বিশ্বমানের। আইকাও'র সর্বশেষ অডিটে বাংলাদেশের সেফটি রেটিং (ইফেকটিভ ইমপ্লিমেন্টেশন) স্কোর ৫০ থেকে বেড়ে ৭৫ এর বেশি অর্জিত হয়েছে। এশিয়া তো বটেই বিশ্বের মধ্যে ৩০-৩৫টি দেশের এই স্কোর আছে। কিন্তু আমাদের টার্গেট সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দেশের কাতারে যাওয়া।" নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের একজনের স্বজন বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ১৬টি আন্তর্জাতিক ও ৮টি অভ্যন্তরীণ রুটে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বিমান চলাচল করছে। গত প্রায় এক দশকে বাংলাদেশের যাত্রী এবং ফ্লাইটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আকাশপথে যাতায়াতের চাহিদাও বাড়ছে। বেসরকারি তিনটি অপারেটর এখন দেশ ও দেশের বাইরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। দুর্ঘটনার পর কেউ কেউ বেসরকারি সংস্থার ফ্লাইট পরিচালনায় বৈমানিকদের বাড়তি কাজের চাপ দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন। অনেক উড়োজাহাজের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ হয়না বলে অভিযোগ তোলেন। অনেক আলোচনায় নিরাপত্তার প্রশ্নে গাফিলতি বা উদাসীনতার অভিযোগ ওঠে। বৈমানিকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমেও বেশকিছু খবর প্রকাশ হয়েছে। বেসরকারি অপারেটর রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এফ আকবর এ ব্যাপারে বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। "কেউ কিন্তু পাইলটকে ফোর্স করতে পারে না। কারণ এটা তার লাইফ। হি ইজ ফ্লাইং। তার নিজের জীবন কিন্তু সেখানে জড়িত।" ইউএস বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, "একজন পাইলট কত ঘণ্টা কাজ করবেন এটি কোনো অপারেটর ঠিক করতে পারে না। এটি সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা আইকাও। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ ঘণ্টার যে ফ্লাইট ডিউটি লিমিট সেখানে চার সেক্টরের বেশি করা যাবে না এ ধরনের কিন্তু কোনো লিমিট আইকাও দেয় নাই।" নেপালি উদ্ধারকারী দল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স-এর বিমানের ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখেছে অপারেটরদের বাধ্য করা যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভিযোগ এসেছে বেসরকারি বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বেসরকারি দুটি কোম্পানির বক্তব্য হচ্ছে সিভিল এভিয়েশনের আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে ফ্লাইট পরিচালনা অসম্ভব। তারা বলছেন, প্রতিটি উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের আন্তর্জাতিক বাঁধাধরা নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট ঘণ্টা ওড়ার পর প্রতিটি বিমানকে রক্ষণাবেক্ষণ ও চেক করতে হয়। মি. আসিফ বলেন, "রেগুলার ইন্টারভেলে মেইনটেনেন্স না করে ফ্লাইট অপারেটর করা কোনো অপারেটরের পক্ষে সম্ভব না। এফডিএম ডেটা আমাদেরকে সিভিল এভিয়েশন এবং প্রস্ততকারকদের নিয়মিত সরবরাহ করতে হয়। কেউই মেইনটেনেন্সের বাইরে গিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে দেয় না।" পাইলটকে ফোর্স করে ফ্লাইট চালাবো, এবং পাইলট সেই ফ্লাইট নিয়ে চলে যাবেন আবার টাওয়ারও লিমিটেশন যেনে ওই এয়ারক্রাফটকে অনুমতি দেবে! এ ধরনের ধারণা খুবই অর্বাচীনমূলক হবে।" বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গত ৪৬ বছরে ১৬টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের আগে বিধ্বস্ত হয়। যেখানে ৪৯ আরোহীর সবাই নিহত হন। ওই দুর্ঘটনা তদন্ত শেষে বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। নেপাল দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ হলে তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই ভবিষ্যৎ একইরকম দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানাচ্ছে সবাই।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার পর নানা অভিযোগ, জবাব কী?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
তোফায়েল আহমেদ বিবিসিকে তিনি বলেন, "সংবিধান পরিপন্থী" কোনো দাবি-দাওয়া মানার প্রশ্নই ওঠে না। আজ ঢাকায় এক দলীয় সম্মেলনে বিএনপি তাদের যে সাত-দফা দাবি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে নির্বাচনের আগে সংসদ বিলুপ্তি, নির্বাচন-কালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার কথা রয়েছে। এক এক করে এসব দাবি জোর গলায় প্রত্যাখ্যান করেছেন তোফায়েল আহমেদ। "বিএনপির দাবিগুলো সংবিধান পরিপন্থী। এগুলো মানার কোনো প্রশ্নই আসেনা। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখ মতই নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারই নির্বাচন-কালীন সরকারের ক্ষমতায় থাকবে। আকারে কিছুটা ছোটো হতে পারে যদিও তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।" তোফায়েল আহমেদ বলেন, "পৃথিবীর দেশে দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।" "এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা বিএনপির ব্যাপার। আমরা জোর করে কাউকে আনতে পারবো না। নির্বাচন তাতে থেমে থাকবে না। নির্বাচন হবেই।" রোববার ঢাকায় বিএনপির জনসভা। সাত-দফা দাবি দেওয়া হলেও তা না মানলে নির্বাচন বয়কটের কোনো কথা বলেননি দলের নেতারা ২০১৪ সালের নির্বাচনের মত একতরফা নির্বাচনে করার ঝুঁকি কি তারা আবার নেবেন? এই প্রশ্নে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি এবার নির্বাচন না করলে তাদের অস্তিত্ত্বের সঙ্কট তৈরি হবে। "যে কোনো নির্বাচনেই দুই, চার দশটি দল না আসতে পারে। তাতে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়না। ১৯৭০ এর নির্বাচনে ভাসানী ন্যাপ আসেনি, তাদেরকে আপনি এখন বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাবেন না।এবার নির্বাচন না করলে বিএনপির অবস্থা তেমনই হবে। তারা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে।" "বিএনপির কাছে কাকুতি-মিনতি করে নির্বাচন করার ইচ্ছা আমাদের নেই।"
নির্বাচন করতে বিএনপিকে কোনো কাকুতি-মিনতি নয় - বিবিসিকে তোফায়েল আহমেদ
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
হামলার সময়ে তোলা ছবি মিস্টার রুহানি এসব দেশের নাম উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি বলেছেন, আইনগতভাবেই এরকম যে কোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। গতকাল ইরানে ঐ হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন সৈন্য এবং বাকিরা কুচকাওয়াজ দেখতে আসা সাধারণ নাগরিক। নিহত বেসামরিক লোকজনদের মধ্যে চার বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। এ সপ্তাহেই জাতিসংঘের এক সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে হাসান রুহানির দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুটো গোষ্ঠীর দাবি ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে গতকালের ঐ সন্ত্রাসী হামলার পরই দুটি গোষ্ঠী এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছিল। এর একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস বা ইসলামিক স্টেট। অন্যটি খুজেস্তান-ভিত্তিক একটি স্থানীয় আরব মিলিশিয়া গোষ্ঠী, যারা দাবি করে ইরানে আরবদের অধিকারের পক্ষে তারা লড়াই করছে। তবে কোন গোষ্ঠীর তরফ থেকেই তাদের দাবির পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়নি। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের একজন উপদেষ্টা টুইট করেছিলেন, ইরানের এই সামরিক কুচকাওয়াজ একটি সামরিক টার্গেট, কাজেই এর উপর হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে চালানো যাবে না। ইরানের হুঁশিয়ারি স্বাভাবিকভাবেই ইরানে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রবিবার বলেছেন, কারা এই হামলার পেছনে আছে, এদের সঙ্গে কাদের সম্পর্ক, তা তাদের কাছে পরিষ্কার। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আরো পড়তে পারেন: কেন বাংলাদেশীদের 'উইপোকা' বলছেন অমিত শাহ? 'গায়েবী মামলার' তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশনের দাবী মেসিকে কি আমেরিকার মাঠে খেলতে দেখা যাবে? এশিয়া কাপ: বাংলাদেশ যে পাঁচ জায়গায় পিছিয়ে পড়ছে তিনি অভিযোগ করেছেন, উপসাগরীয় এসব রাষ্ট্র আর্থিকভাবে, অস্ত্র দিয়ে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই হামলাকারীদের সমর্থন করেছে। তার ভাষায়, এসব ক্ষুদ্র পুতুল রাষ্ট্র আমেরিকার মদত পাচ্ছে, আমেরিকা তাদের উস্কানি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট রুহানি এসব 'পুতুল রাষ্ট্রের' নাম উল্লেখ করেন নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা যে তিনি ইরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। কেন সৌদি ইরান বিরোধ এর আগেও তেহরান সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তুলে বলেছে যে দেশটি ইরানের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় সমর্থন দিচ্ছে। ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার ও বড় ধরনের শক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দুটো দেশের মধ্যেই গত কয়েক দশক ধরে প্রতিযোগিতা চলছে। বলা যায় সিরিয়া ও ইয়েমেনকে কেন্দ্র করে এই দুটো দেশ কার্যত একধরনের ছায়া-যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এই দুটো দেশের মধ্যে উত্তেজনা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সম্প্রতি ইরানের নতুন করে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিলে এই উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এর পরপরই ওয়াশিংটন ইরানের ওপর নতুন করে আরো কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
হামলার জন্যে আমেরিকার পুতুল রাষ্ট্র দায়ী: ইরান
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
সোমবার তেহরানে মোহসেন ফখরিযাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপতা কাউন্সিলের সচিব আলি শামখানি বলেন, মি. ফখরিযাদের ওপর ঠিক কোন জায়গায় আক্রমণ চালানো হবে তাও তারা জানতেন, কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডে ঘাতকরা একেবারে নতুন, পেশাদার এবং ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তাই তা ঠেকানো যায়নি। তিনি বলেছেন মোহসেন ফখরিযাদের হত্যার পেছনে যারা ছিল তারা দূর নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করেছিল এবং ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিল না। ইরান এর আগে বলেছিল, তেহরানের কাছে আবসার্দ শহরে একদল আক্রমণকারী মি. ফখরিযাদের গাড়ির ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং এরপর দেহরক্ষীদের সাথে তাদের গুলি বিনিময় হয়। কিন্তু এখন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সংশ্লিষ্ট ফার্স নিউজ এজেন্সি বলছে, মি. ফখরিযাদেকে একটি দূরনিয়ন্ত্রিত মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল আলি শামখানি বলেছেন - ফখরিজাদেকে হত্যার ওই পরিকল্পনা সম্পর্কে ইরানি গোয়েন্দা বিভাগ জানতো কিন্তু এতে যে অভিনব পন্থা ব্যবহার করা হয়েছে - সে কারণে তারা এটা ঠেকাতে পারেনি। "মি. ফখরিযাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছিল, কিন্তু শত্রুপক্ষ একেবারেই নতুন, পেশাদার এবং বিশেষ ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করেছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সফল হয়েছে।" তিনি বলেছেন এটা ছিল অত্যন্ত জটিল মিশন। অ্যাডমিরাল শামখানি বলেন হামলাকারীদের পরিচিতি সম্পর্কে "কিছু সূত্র" পাওয়া গেছে। নির্বাসিত ইরানী দল মোজাহেদীন ই খাল্ক-এর সদস্যরা "নিশ্চিতভাবে" জড়িত বলে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। এবং বলেছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ''মোসাদ''এর সংশ্লিষ্টতার কথাও তিনি বলেছেন। আরও পড়তে পারেন: মোহসেন ফখরিযাদে: তাকে হত্যার পেছনে জটিল যে সব মোটিভ ফখরিযাদে হত্যাকাণ্ড: ইরান কেন এক্ষুণি প্রতিশোধ নেবার কথা বলছে না? পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলো ইরান ইসরায়েল আর ইরানের মধ্যে কি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে? জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন ইরান ''শহীদ বিজ্ঞানী'র পথ অনুসরণ অব্যাহত রাখবে। প্রেস টিভি নামে ইংরেজি টিভি চ্যানেল একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে এই হত্যাকান্ডে ইসরায়েলি সামরিক শিল্পের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। এর আগেই শুক্রবার যে আক্রমণে মি. ফখরিযাদে নিহত হন - তার পেছনে ইসরায়েল জড়িত বলে দাবি করেন ইরানের নেতারা । তবে ইসরায়েল এসব দাবির ব্যাপারে এখনো কোন মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েল বিশ্বাস করতো যে মি. ফখরিজাদে একটি গোপন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি কর্মসূচির তত্ত্বাবধান করছিলেন। যদিও ইরান সবসময়ই দাবি করে এসেছে যে তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আজ সোমবার তেহরানে মোহসেন ফখরিযাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়া মৃতদেহ বহন করে সৈন্যরা। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি এক বক্তৃতায় বলেন, এই হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। আজ তেহরানে রাষ্ট্রীয়ভাবে মি ফখরিযাদের জানাজা হয়েছে। "আমাদের শত্রুরা জানে এবংএকজন সৈনিক হিসাবে আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি কোন অপরাধ, কোন সন্ত্রাস বা কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের উত্তর ইরানী জনগণ অবশ্যই দেবে," বলেন জেনারেল আমির হাতামি। তিনি আরও বলেন "শহীদ বিজ্ঞানীর" প্রদর্শিত পথ দেশ অনুসরণ করবে এবং তা করা হবে "আরও দ্রুত এবং আরও জোরেসোরে"।
মোহসেন ফখরিযাদে: ইরানের নিরাপত্তা প্রধান বলছেন পরমাণু বিজ্ঞানীর ঘাতকরা 'নতুন ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছে'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মুসলমান বাস করে আর্জেন্টিনায় তবে ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা অন্যান্য দেশের মতো খুব বেশী বাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। পরিস্কার করে এটাই বলা যায়, ২০৫০ সাল নাগাদ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার হবে, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে তারচেয়ে কম। পুরো পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে এই ধারাটি দেখা যাবে। এই তথ্য পাওয়া গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। এতে বলা হয়েছে যে ২০১০ সালের তুলনায় ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে ২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটবে ২৭ শতাংশ, তবে ইসলাম ধর্মে অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে মাত্র ১৩ শতাংশ। ঠিক একই সময়ে, দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ৭৩ শতাংশ, যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাধারণ হার হবে ৩৫ শতাংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা - ১৭৯ শতাংশ • সাব-সাহারান আফ্রিকা - ১৭০ শতাংশ • মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা - ৭৪ শতাংশ • ইউরোপ - ৬৩ শতাংশ • এশিয়া-প্যাসিফিক - ৪৮ শতাংশ • ল্যাটিন আমেরিকা - ১৩ শতাংশ (সূত্র: পিউ রিসার্চ সেন্টার) পিউ রিসার্চ সেন্টারের এই গবেষণার বিষয় ছিল 'পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যত' এবং গবেষণাটিতে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১৯টি দেশকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ঈদের নামাজে প্রার্থণা করছেন সেদেশের মুসলমানরা ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ঐ অঞ্চলে তাদের মোট সংখ্যা হবে ৯৪০,০০০। ২০১০ সালের হিসেবে স্পেন কিংবা ইতালিতে মুসলমানের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশী ছিল। কিন্তু কীভাবে এই ধারাটি ব্যাখ্যা করা যায়? ১. অনুসারীর সংখ্যা কম "মুসলিমদের সংখ্যা বিচারে ল্যাটিন আমেরিকা একটি অনন্য অঞ্চল, কারণ সেখানে এখনই খুব কম সংখ্যায় মুসলমান বাস করে," বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে বলছিলেন পিউ রিসার্চ সেন্টারের কনরাড হ্যাকেট। "আমরা ধারণা করছি ২০১০ সাল নাগাদ ক্যারিবিয়ান দেশগুলো সহ পুরো ল্যাটিন আমেরিকায় ৮৪০,০০০ মুসলমান ছিল।" "সারা বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলমানের তুলনায় এটি খুব ছোট সংখ্যা," বলেন মি. হ্যাকেট। তিনি আরও ব্যাখ্যা করছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ড ও কানাডায় মূলত অভিবাসনের মাধ্যমে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে, তবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে এই বিষয়টি ঘটছে না। সংখ্যায় ল্যাটিন আমেরিকার মুসলমান (২০১০ সালের হিসেব) • আর্জেন্টিনা - ৪০০,০০০ • ভেনেজুয়েলা - ৯০,০০০ • ব্রাজিল - ৪০,০০০ • পানামা - ৩০,০০০ • কলম্বিয়া - ১০,০০০ • হন্ডুরাস - ১০,০০০ (সূত্র: পিউ রিসার্চ সেন্টার) মি. হ্যাকেট বলেন, উত্তর আমেরিকা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুসলমানদের সংখ্যা এখনও বড় কিছু নয়। কিন্তু আমরা দেখছি সেখানে অভিবাসীরা আসছেন সেইসব দেশ থেকে যেখানে মুসলমানরা বড় সংখ্যায় বাস করেন। যদিও সব অভিবাসী মুসলমান নন, তবে বেশীরভাগই এই ধর্মের। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঐ সব দেশে যাচ্ছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা লটারি কিংবা শরনার্থী কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ল্যাটিন আমেরিকায় দ্বিতীয় বড় মসজিদ হলো কারাকাসের ইবরাহীম ইবনে আবদুল আজিজ আল-ইবরাহীম মসজিদ তিনি বলেন, "দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা অন্য অঞ্চল থেকে বড় সংখ্যায় মানুষ ল্যাটিন আমেরিকায় আসছে এমনটা আমরা দেখছি না। অর্থনৈতিক কারণ কিংবা অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন এলে এটা ঘটতে পারে, তবে তেমনটা ঘটবে বলে এখনও আমাদের কাছে মনে হয় না"। ২. ধর্ম পরিবর্তন অন্য যে কারণে ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে পারতো, তাহলো ধর্ম পরিবর্তন। মি. হ্যাকেট বলেন, অনেক সংখ্যক মানুষ যদি ধর্ম পরিবর্তন করতো, তাহলে হয়তো মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তো। তবে তিনি বলেন যে ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বাসের পরিবর্তন ঘটছে, তবে তা ঘটছে খ্রিস্টানদের মধ্যকার বিভিন্ন বিশ্বাসের মধ্যে। ৩. জন্মহার বিশ্বজুড়ে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম বড় একটি কারণ তাদের উচু জন্মহার। মি. হ্যাকেট বলছেন, আফ্রিকার অনেক দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেসব দেশে একজন নারী গড়ে ৪, ৫ কিংবা ছয়টি করে বাচ্চার জন্ম দেন। আফ্রিকায় উচু জন্মহারের কারণে সেখানে খ্রিস্টানের সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ল্যাটিন আমেরিকায় এক সময় নারীরা উর্বর ছিলেন, তবে এখন তারা গড়ে ১, ২ অথবা ৩টি বাচ্চার জন্ম দেন। "আমাদের কাছে কোন প্রমান নেই যে এই অঞ্চলের মুসলমান নারীরা এর চেয়ে বেশী হারে বাচ্চার জন্ম দেন," বলছিলেন মি. হ্যাকেট। ভিডিওতে দেখুন: ২০৭০ সালে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম
কেন মুসলমানদের সংখ্যা সারা বিশ্বের মতো দ্রুত বাড়বে না ল্যাটিন আমেরিকায়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের বৈঠক মনে করা হচ্ছে, আজকের এ বৈঠকগুলোর পরই আগামী ২৩শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে। বিএনপি ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনো অস্পষ্ট। তবে রাজনীতিবিদ , বিশ্লেষক, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এবং এমনকি বিএনপির সাধারণ কর্মী সমর্থক - সবাই কথা বলছেন এ নিয়ে। শনিবার ঢাকার গুলশান এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমানো কয়েকজন দলীয় কর্মীর সাথে কথা হয় বিবিসি বাংলার প্রতিবেদকের। দু'জনের কাছ থেকে শোনা গেল দু'রকম কথা। একজন বলছিলেন,"নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই হাসিনা সরকারকে হটানো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়। এই জন্যেই (বিএনপির) নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত।" আরেকজন বলেন, "বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় - তাহলে মাঠ পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ে তারা যেভাবে সাজিয়েছে, তাতে নির্বাচনে গেলে ভালো কোন রেজাল্ট আসবে না। বরং তারা নির্বাচনে জিতবে এই বৈধতাটাই তাদের দেয়া হবে। এখনই আমরা হাজার হাজার লোক বাড়িতে থাকতে পারি না, পরবর্তীতে কোথায় যে যাবো সেই জায়গাটুকুও নাই। তাই বৈধতা দেবার চাইতে এ নির্বাচনে না যাওয়াই ভাল।" দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন কারাগারে আরো পড়তে পারেন: ঐক্যফ্রন্টের নতুন রূপরেখায় কী আছে? সংসদ নির্বাচন: সব টেনশন 'বিএনপির আসা-না আসা' নিয়ে বিএনপির নির্বাচন করা-না-করা: আজই কি সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোটের নেতারা বৈঠকে বসেন কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক। এর মধ্যেই বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র রিপোর্ট করে যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা নির্বাচনে যাবার ব্যাপারে 'নীতিগত সিদ্ধান্ত' নিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন কিছু জানানো হয় নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দের দলটির মনোনয়ন ফরম বিতরণের দ্বিতীয় দিন শ‌নিবার সকা‌লে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনন, তার মনে সন্দেহ নেই যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। মি. কাদেরকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, তারা এ ব্যাপারে 'আশাবাদী।' সরকারের সাথে সংলাপে বিএনপি সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক রওনক জাহান বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "তাদের সামনে তো বিশেষ কোন পথ খোলা নেই। তারা যদি নির্বাচনে না যেতে চান তাহলে তাদের রাজপথে একটা বিরাট আন্দোলন করতে হবে। সেটা তারা গতবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাতে লাভ হয় নি বরং দলটির ক্ষতি হয়েছে। এখন সেরকম আন্দোলন করার মতো সক্ষমতা তাদের আছে বলে মনে হচ্ছে না।" "যদিও তারা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না, তারপরেও, মনে হয় যে তাদের নির্বাচনে যেতেই হবে। তবে এর জন্য তারা ভেতরে ভেতরে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছেন তা বলতে পারবো না ।" দলটির আরেকজন সিনিয়র নেতা বিবিসিকে বলেছেন, তারা মনে করেন বিএনপির এবার কোনোভাবেই নির্বাচন থেকে বিরত থাকা উচিত হবেনা। কারণ তার বিশ্বাস যে নির্বাচন যদি 'ন্যূনতম সুষ্ঠুও হয়' তাহলেও শেষ পর্যন্ত জনরায় তাদের পক্ষেই আসবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে.(অব) মাহবুবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়ে গেছে এবং ১৯শে নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে - তাই এ পরিস্থিতিটা শনিবারের বৈঠকগুলোয় উঠবে বলেই তিনি মনে করেন। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি সরকার মেনে নেয় নি বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারি পর্যন্ত। বিরোধী রাজনৈতিক জোট, অর্থাৎ বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেজন্য তারা তফসিল পিছানোরও দাবি করেছিল। কিন্তু তাদের দাবি না মেনে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। শনিবার বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক সহ মোট তিনটি বৈঠক হবে। বিএনপি যে দুটি জোটে আছে তার শরিকদের সাথে বৈঠক করছে। প্রথমে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে একটি বৈঠক, এবং দিনের শেষ বৈঠকটি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে।
সংসদ নির্বাচন: অংশগ্রহণ ছাড়া বিএনপি'র সামনে অন্য কোন উপায় আছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
পালুর একটি হোটেলের সামনে নিহত একজনের স্বজনের কান্না ভাঙা কংক্রিট, ইট-সুরকি, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাড়িঘর, উল্টে যাওয়া মাছধরা নৌকো। বাতাসে কেমন একটা গন্ধ। যদি আপনি নিকটবর্তী মেডিক্যাল ক্লিনিকটার দিকে যান, দেখবেন সেখানে সব মৃতদেহগুলো সার বেঁধে রাখা হচ্ছে। বুঝতে অসুবিধে হয় না, গন্ধটা এখান থেকেই আসছে । যে ভুমিকম্প থেকে এই সুনামি - সেটার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। তার আঘাত কত জোরদার ছিল তা বোঝা যায় চারদিকের ধ্বংসের মাত্রায়, আর লাশের গন্ধে। জীবিতরাও আছে। তাদের দেখা যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই। কেউ অপেক্ষা করছে তাদের কোন প্রিয়জনের যদি দেখা মেলে সেই আশায়। কেউ বা ধ্বংসস্তুপের একটি অংশ পাহারা দিচ্ছে - যা এই সেদিনও তার বাড়ি ছিল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে 'গ্রামের সবাই বলছে তাদেরকে সাপে কামড়েছে' বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা পালু শহরের উপকুল এখন ধ্বংসস্তুপ একটা মৃতদেহ দেখা গেল - আর কিছু না পেয়ে লোকজন একটা ঢেউটিন দিয়েই সেটা ঢেকে দিয়েছে। এই লোকজনের সাথে কথা বললে আপনি শুনবেন, কিভাবে নিমেষের মধ্যে ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল। কিভাবে তারা কয়েক মুহুর্তের মধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছে, এবং তাদের যে করার কিছুই ছিল না - তাও। এমন খুঁটিনাটি দিয়ে তারা আপনাকে ঘটনাটা বলবে যে বোঝা যায় - এভাবে বর্ণনা করেই যেন তারা একভাবে আত্মস্থ করতে চাইছে - যে তাদের জীবনে কি ঘটে গেছে। বিবিসি বাংলায় এ সম্পর্কে আরো খবর: নিহতের সংখ্যা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে, রাস্তায় মৃতদেহ পালু শহরে সুনামির ধ্বংসলীলা এই লোকেরা বলছে, সুনামির ব্যাপারে তারা কোন সতর্কবার্তা, বা কোন এসএমএস - কোন কিছুই পায় নি। একজন মৎস্যজীবী - যিনি তার পরিচয় দিলেন শুধু ববি বলে - বললেন, জোরালো ভুমিকম্পের পরই তিনি দেখেছিলেন সাগরের পানি হঠাৎ পিছিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখেই তিনি বুঝেছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। সাথে সাথে তিনি তার পরিবার আর ছেলেমেয়েদের বললেন উঁচু জায়গার দিকে দৌড়াতে। ধ্বংসস্তুপে আটকে থাকা একটি গাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছেন নাকে কাপড়-দেয়া এক ব্যক্তি তিনি নিজে অবশ্য সেখানেই রয়ে গেছিলেন। কারণ তার চোখে পড়েছিল একাকী একটি শিশু। তাকে তিনি আঁকড়ে ধরে রাখলেন। ঠিক সেই সময় সুনামির দ্বিতীয় ঢেউটা এলো, এবং এই ঢেউটার আঘাতেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেল। ঢেউটা তাকে একটা আমগাছের ওপর আছড়ে ফেললো, তার ওপর দিয়ে পানি চলে গেল, এবং কেমন করে যেন তিনি আর তার ধরে-থাকা শিশুটি - দুজনেই বেঁচে গেলেন। ববি এখন বসে আছেন ভাঙা ইট-সুরকির স্তুপের ওপর। তিনি ক্ষুব্ধ যে তিনি কোন ত্রাণ পান নি। কি ভাবে দিন কাটাচ্ছেন - তিনি এই প্রশ্ন করায় তিনি কাঁদতে শুরু করলেন। সুলাওয়েসির কেন্দ্রস্থলে জনঘনত্ব সুলাওয়েসিতে ভুমিকম্প ও সুনামির আঘাত পালুর মামবোরো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেখা গেল পাঁচ বছরের একটি মেয়েকে ভাঙা পা নিয়ে শুয়ে থাকতে। তার পরিবারের অন্যরা নিখোঁজ। একজন ডাক্তার বললেন, মেয়েটিও মনে করতে পারছে না যে সে কোথায় থাকতো। গাড়িতে পালু শহরের ভেতর দিয়ে যাবার সময় এটা স্পষ্ট হলো যে জেলেদের ছোট ছোট বাড়িগুলো একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু একটু অবস্থাপন্ন জেলেদের বাড়ি যেগুলো কংক্রিট-সিমেন্টের তৈরি - তার অনেকগুলোই টিকে আছে। সুনামির ঢেউটা ছিল খুবই শক্তিশালী। পালুর চারদিকেই উঁচু পাহাড়ি জায়গা - কিন্তু শহরটা গড়ে উঠেছে সমভূমির ওপর। তাই সুনামির ঢেউয়ের সামনে তা ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। অনেক পরিবারের পুরুষরা ধ্বংসস্তুপের ওপর বসে ভাঙা ঘরবাড়ি পাহারা দিচ্ছে। তার স্ত্রী আর সন্তানরা চলে গেছে ত্রাণকেন্দ্রে। অনেকে এখনো আত্মীয়স্বজনদের খুঁজছে। সুলাওয়েসিতে শুক্রবার থেকে রেকর্ড করা ভূমিকম্পের সংখ্যা শহরটিতে এখন বিশুদ্ধ পানি, খাবার এবং পেট্রোলের তীব্র অভাব। এসব সামগ্রীর জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। কোথাও কোথাও খাবার নিতে আসা লোকজনের মধ্যে মারামারি হচ্ছে, দু-এক জায়গায় লুটপাটও হয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে লোকজনের মধ্যে সহমর্মিতা এবং পরস্পরকে সাহায্য করার মানসিকতাও দেখা যাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে দুর্গতদের সাহায্য করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে - এটা স্পষ্ট।
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির পর লাশের গন্ধে ভারী হয়ে আছে পালুর বাতাস
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি রবিবার বিকেলে দিল্লিতে ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতে আগামী নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। এর আগে কংগ্রেস-সহ ভারতের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সুযোগ করে দিতেই ভারতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এদিন সেই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে সব দল ও প্রার্থীদের যে 'মডেল কোড অব কন্ডাক্ট' বা আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে হয়, তা আজ রবিবার থেকেই বলবৎ হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা আরও জানিয়েছেন, গত সাধারণ নির্বাচনে সারা দেশে মোট নয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হলেও এবারে তা কমিয়ে সাত দফায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা কোথায় কবে ভোটগ্রহণ হবে, তা স্থির করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর 'মুভমেন্ট' এবং কোথায় কবে তাদের পাওয়া যাবে সেই ফ্যাক্টরটি বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। "যেমন আমরা দেশের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে একসঙ্গে ভোট করাতে চেয়েছি, কারণ সেখানে প্রচুর নিরাপত্তা কর্মীর প্রয়োজন হবে।" "সেখানকার প্রয়োজন মিটলে তারপর অন্যান্য জায়গায় তাদের মুভ করানো হবে", বলেন মি অরোরা। যে সাত দফায় সারা দেশে ভোটগ্রহণ হবে, সেই তারিখগুলো হল ১১ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে ও ১৯ মে। শেষ দফার ভোট মিটলে তার চারদিনের মাথায় একসঙ্গে সব পর্বের ভোট গোনা হবে। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার আসন আছে মোট ৪২টি। সাত দফার ভোটগ্রহণের প্রতি দিনই ওই রাজ্যের কোনও না কোনও আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর আগে ভারতের বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন শাসক দলকে সুবিধে করে দিতেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের টুইট আরো পড়তে পারেন: ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক 'বাবারা সবশেষ ভোট দিয়েছেন, এবার আমরা দিব' শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও এমপি আহমেদ প্যাটেল পাঁচ দিন আগে টুইট করেছিলেন, 'কেন এখনও ভোটের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না? প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফর শেষ হওয়ার জন্যই কি নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করছে?' প্রসঙ্গত, গত এক মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশে অন্তত ১৫৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যেগুলোর মোট খরচ হাজার হাজার কোটি টাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হলে যেহেতু আদর্শ আচরণিবিধি চালু হয়ে যায়, তাই তখন আর প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কোনও উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে পারেন না। কিন্তু কমিশন এদিন দাবি করেছে, তাদের তফসিল ঘোষণায় কোনও দেরি হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেছেন, "বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩রা জুন। এর আগে ২০১৪ সালে বিগত লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়েছিল সেই বছরের ৩১শে মে। ফলে স্পষ্টতই আমাদের হাতে কয়েকটা বাড়তি দিন ছিল।" এদিকে ভারতে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা প্রশ্ন তুলেছিল। ভারতে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। ফাইল ছবি কিন্তু কমিশন এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতে এবারের নির্বাচনে ইভিএমের প্রয়োগ কোনও ভাবেই সঙ্কুচিত করা হবে না। তবে প্রতিটি ইভিএম যন্ত্রের সঙ্গেই ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েবেল পেপার অডিট ট্রেইল) থাকবে, যাতে ইভিএমে-র ফল নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে তা যাচাই করার সুযোগ থাকবে। এদিকে যে বিতর্কিত কাশ্মীর ভূখন্ড নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান গত সপ্তাহেও যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল, সেখানে লোকসভা নির্বাচন হলেও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এখনই করানো হচ্ছে না। ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম ও ওড়িশা - দেশের এই চারটি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের নাম সেই তালিকাতে নেই।
ভারতে সাধারণ নির্বাচন: মোদী সরকার টিকছে কি না, জানা যাবে ২৩শে মে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সাপ থেকে বিষ সংগ্রহ করা হচ্ছে প্রতিটি কৌটায় ইংরেজিতে লেখা ছিল - রেড ড্রাগন কোম্পানি, ফ্রান্স। আরো লেখা ছিল - কোবরা পয়জন অর্থাৎ কেউটে সাপের বিষ। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ঢাকায় এরকম সাপের বিষের বড় একটি চালান ধরেছিলো পুলিশ। তখন বলা হয়েছিল, বাজারে এর দাম ৪৫ কোটি টাকা। দুটি ঘটনাতেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটককৃতরা পুলিশকে বলেছে চোরাইপথে বিদেশ থেকে এনে এই সাপের বিষ তারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রি করে। কিন্তু এই ভাষ্য কতটা গ্রহণযোগ্য? আরও পড়ুন : ছাত্ররাই তছনছ করেছে রাজশাহী চারুকলার ভাস্কর্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অন্যতম শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন - এই ভাষ্য 'ডাহা মিথ্যা' তিনি বলে, তার জানা মতে, বাংলাদেশে সাপের বিষ ব্যবহার করে কোনো ওষুধ তৈরি হয়না। "এরকম ওষুধ তৈরির কোনো অনুমোদনও নেই, সেই প্রযুক্তিও নেই।" "আমার জানা মতে, সাপের বিষ ব্যবহার করে কোনো ওষুধ পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই তৈরি হয়না।" তিনি বলেন, সাপের বিষ মূলত ব্যবহার হয় ক্যান্সার এবং অল্প কিছু উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-ভেনম তৈরিতে, এবং সে ধরণের ৮/১০টি ওষুধ কোম্পানি ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশে রয়েছে। তাহলে এই সব সাপের বিষ কেন আসছে বাংলাদেশে? অধ্যাপক ফারুক বলেন, এগুলো সত্যিকারের সাপের বিষ কিনা তা নিয়েই তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। "১২ পাউন্ড কেউটে সাপের বিষ পেতে হাজার হাজার সাপ থেকে তার সংগ্রহ করতে হবে।" তিনি সন্দেহ করছেন, সাপের বিষের নাম দিয়ে কোনো ধরণের মাদক হয়ত এসে থাকতে পারে। তিনি বলেন আটক কথিত এই বিষ খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, এগুলো বিষ হলেও নিশ্চিতভাবে তার গন্তব্য অন্য কোনো দেশে, বাংলাদেশ শুধু ট্রানজিট। অধ্যাপক ফারুক মনে করেন, সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে চীন, কারণ সেদেশে সাপের বিষ ব্যবহারে নেশা করার একটি চল রয়েছে বলে শোনা যায়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৫০ কোটি টাকার সাপের বিষ আটক, কিন্তু কারা কেনে এসব বিষ?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
রাজশাহীতে নির্বাচনী আমেজ। এখানে সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী সবগুলো দল অনেকটা নির্বিবাদেই তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও সদরের বাইরে অন্তত: ৩টি আসনে পুলিশের গ্রেফতারের কারণে নেতা-কর্মীরা ভীতির মধ্যে আছেন বলে অভিযোগ করছে বিএনপি। তবে পুলিশ বলছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। পদ্মার কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা এই রাজশাহী-২ আসন। নদীর পারে গিয়ে দেখা গেল, সকালবেলার বেশ কড়া শীতের মধ্যেও জেলেরা মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। ভোট নিয়ে তাদের মধ্যে কি বাড়তি কোন উৎসাহ আছে? আব্দুল আজিজ নামে ষাটোর্দ্ধ এক জেলের সঙ্গে কথা বলে অবশ্য তেমন কোন আগ্রহ দেখা গেলো না। "ভোট আসছে, দিবো। এই তো। ভোটের সময় সবাইকে দেখি। কিন্তু পরে আর তো আর কাউকে এলাকায় পাই না।" রাজশাহীতে ভোটের মাঠে জেলে ভোটারদেরও গুরুত্ব আছে। কিন্তু ভোটের পরিবেশ কেমন - এমন প্রশ্নে অবশ্য স্বস্তিই ধরা পড়লো আব্দুল আজিজের কথায়। "এলাকায় সব প্রার্থীরাই তো নামছে। কেউ কাউকে নিষেধ করে না। মিছিল-মিটিং হচ্ছে। মারামারি-গ্যাঞ্জাম নাই।" আব্দুল আজিজের কথার সত্যতা মিললো শহরে ঢুকতেই। পুরো নগর জুড়েই নির্বাচনী আমেজ । ধানের শীষ আর নৌকা মার্কার ব্যানার-পোস্টার নগর জুড়েই শোভা পাচ্ছে। পরিমাণে কম হলেও হাতপাখা মার্কায় ইসলামি আন্দোলনের ফয়সাল হোসেন আর কাস্তে মার্কা সিপিবি'র এনামুল হকের পোস্টারও কোথাও কোথাও চোখে পড়লো। বিকেলে নগরীর বেলদার পাড়ায় দেখা গেলো, কর্মী সমর্থকদের বিশাল মিছিল নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু। তার সঙ্গে কথা বলি। নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় ছাড়া আর কিছু দেখছেন না তিনি। মিজানুর রহমান মিনু বলছিলেন, "এখানে আমাদের শুধু নিজস্ব কর্মীই আছে চল্লিশ হাজারের বেশি। আমাদের জনসমর্থনও প্রচণ্ড।" "গত ১২ বছরে রাজশাহীর মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং এখানকার মানুষ বঞ্চিত, অপমানিত হয়েছে। তারা ব্যালটের মাধ্যমে সবকিছুর জবাব দেবে।" এর পর খোঁজ নিলাম নৌকা মার্কার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার। সিপিবি থেকে মহাজোটের এই প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছিলেন নগরীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদেরও দেখা গেল। তিনি অবশ্য বলছেন, এই আসনে বিএনপি'র নিজস্ব কোন ভোট ব্যংক এখন আর নেই। তার ভাষায়, "বিএনপি'র যে ভোট ব্যাংক এবং জনপ্রিয়তার তত্ত্ব, সেটা আশির দশকের গল্প।" তার কথা : "এখন রাজশাহীতে উন্নয়নের ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে। জনগণ এমনকি বিএনপি'র অনেক ভোটারও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে।" রাজশাহীতে ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলছেন ভোটাররা। পরিসংখ্যানে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, রাজশাহী-২ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৪টি নির্বাচনের ৩টিতেই জয়ী দল বিএনপি। আর রাজশাহীর সবগুলো আসনে বিএনপি'র জয়ের হার প্রায় ৫৮ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগের ৩১ শতাংশ। এবার তাহলে কার দিকে মুখ তুলে তাকাবে ভোটাররা? নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি চায়ের দোকানে কথা বলি কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে। মধ্যবয়সী একজন বলছিলেন, "এখানে মিনু ভাই দীর্ঘদিন মেয়র ছিলেন, সংসদ সদস্যও ছিলেন। অন্যদিকে বাদশা ভাই এখন রানিং এমপি। তারা দুজনেই ভালো কাজ করেছেন। জনগন কোন যুক্তিতে কাকে বেছে নেবে এখনো বোঝা যাচ্ছে না।" রাজশাহী-২ আসন থেকে চলে এলাম রাজশাহী-৩ আসনে। এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার চোখে পড়লো। যদিও এখানে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার ও প্রচার ক্যাম্পে হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় বিএনপি। দলটির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন দাবি করছেন, প্রতিদিনই তার কর্মীরা গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া নির্বাচনী ক্যাম্পেও প্রতিপক্ষরা হামলা ভাংচুর করছে। তবে আওয়ামী লীগ একে নাকচ করে দিচ্ছে। রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আয়েন উদ্দীনের দাবি, তার ভাষায় বিএনপি নিজেরাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাজশাহী-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন পাঁচ প্রার্থী। এই আসনে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের ফজলুর রহমান, কুলা প্রতীকে বিকল্প ধারার মো. মনিরুজ্জামান এবং চাকা প্রতীকে বাংলাদেশের সাম্যবাদি দলের সাজ্জাদ আলীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। তবে কিছু ব্যানার-পোস্টার ছাড়া তাদের প্রচার সেভাবে চোখে পড়লো না। এদিকে রাজশাহী-৩ আসনের মতো রাজশাহী-৪ এবং রাজশাহী-৫ আসনেও বিএনপি'র পক্ষ থেকে একইরকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এসব অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কী বলছে? কথা বলি রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ'র সঙ্গে। তিনি অবশ্য বলছেন, রাজশাহীতে সব দলের সঙ্গেই সমান আচরণ করো হচ্ছে। তিনি বলছিলেন, "রাজশাহীতে কিন্তু কোথাও বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। পরিবেশ পজিটিভ আছে। ঢালাওভাবে কাউকে গ্রেফতার করা বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করা - এরকমটা হচ্ছে না। শুধুমাত্র যদি ফৌজদারি কোন অপরাধ ঘটে, সেক্ষেত্রে দুয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।" এদিকে আদালতে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় রাজশাহী-৬ আসনে এখন বিএনপি'র কোন প্রার্থী নেই। তবে বিএনপি জানিয়েছে, প্রার্থিতা ফিরে পিতে আইনি লড়াই চলছে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্যেও সব মিলিয়ে বলা যায়, দেশের অন্য অনেক এলাকার চেয়ে তুলনামূলকভাবে রাজশাহীতে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে এক ধরণের স্বস্তিই দেখতে পেয়েছি আমি। যদিও শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ কেমন থাকে - সেটা নিয়ে উদ্বেগও দেখা গেছে কোন কোন প্রার্থীর মধ্যে।
সংসদ নির্বাচন: রাজশাহীর নির্বাচনী পরিবেশ: শহরে 'ভালো', বাইরে 'উদ্বেগ'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
তার অস্তিত্বের সঙ্কট সম্ভাবনায় অনেককেই ইদানীং এত বিচলিতও হতে হত না। এবং বিশেষত নবীন প্রজন্মের মুখে মুখে আজ উদভ্রান্তের মতো ধাক্কা খেয়ে ফিরতে হত না হিন্দি, ইংরেজি মেশানো এক জগাখিচুড়ি বাংলাভাষাকে । ইউনেস্কোর মতে ১০,০০০ এর কম মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, সেই ভাষার বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই হিসেবে ভারতে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ৭৮০ ভাষার মধ্যে বিপদ সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬০০টির । এবং জানা যাচ্ছে গত ৬০ বছরে প্রায় ২৫০ ভারতীয় ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন ) কি জানি, বাংলাভাষাও দূর ভবিষ্যতে এমন বিপদ সম্ভাবনার তালিকায় নাম লেখাবে কী না। ভাষা আন্দোলনের হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। অবশ্য অনেকের মনে হতে পারে এই ভাবনা অহেতুক। কারণ বিশ্বে সর্বাধিক মানুষের কথা বলার ভাষা হিসেবে ষষ্ঠ নাকি সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাভাষীর সংখ্যা এখন প্রায় ২৩ কোটি। মনে হতে পারে, একটা ভাষা তো বেঁচে থাকে এবং সমৃদ্ধ হয় বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেই। এবং এও মনে হতে পারে, প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গে যখন হাজার হাজার বাংলা বই প্রকাশিত হচ্ছে, তখন এর মৃত্যু ঘণ্টা বাজাবে কে? তবে মৃত্যু না হলেও সে যে ক্রমে রক্তহীন হচ্ছে, চারপাশে একটু সজাগ দৃষ্টিপাতেই তা টের পাওয়া যায়। কারণ, যে মাতৃভাষার আন্দোলন বাংলাদেশকে প্রসব করেছে, যে আন্দোলনের হাত ধরে সারা বিশ্ব ২১শে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে পেয়েছে, সেই ভাষা নিয়ে সেই দেশবাসীর চূড়ান্ত আবেগ এবং গভীর ভালবাসা হয়তো স্বাভাবিক। অপর দিকে, পশ্চিমবঙ্গের জন্ম বাংলাদেশের মত কোন রক্তক্ষয়ী ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে হয় নি। রাজ্যবাসীদের কাছে বাংলাভাষা অনেকটাই যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। তাই তাকে নিয়ে কোন বিশেষ আবেগ নেই আমাদের। বরং যা রয়েছে তা হল কিছুটা অবজ্ঞা মিশ্রিত অবহেলা। তাই বোধহয়, যে ভাষাটির জন্ম ও চর্চা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে, যে ভাষা বাঙালিদের বিপুল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক - সেই ভাষার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছুটা নাকে কাঁদুনি গেয়েই আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসীরা ক্ষান্ত থাকি। কলকাতার নতুন প্রজন্ম: জগাখিচুড়ি বাংলা? এবং বলা যায় 'আত্মবিস্মৃত বাঙালি' জাতি আমরা বাংলাকে নিয়ে বোধহয় একটা হীনমন্যতাতেও ভুগি। কারণ প্রায়শই দেখা যায়, যত শিক্ষিতই হোক, ইংরেজি না বলতে পারলে আমাদের তথাকথিত 'শিক্ষিত সমাজ', তাকে যেন একটু খাটো নজরেই দেখে। বহু বাঙালিই আড্ডায়, আলোচনায় এমনকি নিজেদের বাড়িতেও বাংলা নয়, ইংরেজি বলতেই বেশি পছন্দ করেন। বেশি 'কমফোর্টেবল ফিল' করেন তাঁরা। নতুন প্রজন্মও বিশেষ করে কলকাতাবাসী যেন সেই পছন্দের অনুসারী হয়ে বাংলার বদলে ইংরেজি ও হিন্দি, নয়তো এই দুটি ভাষা মিশিয়ে অদ্ভুত এক জগা খিচুড়ি বাংলা বলে। আবার অফিস আদালতে বাংলা ভাষায় লেখা সরকারি কোন নির্দেশিকা বা কোন ঘোষণাপত্রে চোখ রাখলে, মনে হয় যেন ঊনবিংশ শতকি বাংলা পড়ছি। এখন আবার সভা সমিতিতে আমাদের রাজ্যের নেতা-নেত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রীমুখ থেকে অশ্রুতপূর্ব বাংলায় যে বক্তৃতা, কখনো আবার ছড়া-গানের ফুলঝুরি আমাদের কর্ণপটাহকে বিদীর্ণ করে - তখন আমার সত্যি মনে হয়, "মাগো তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা" র বদলে - কত অশান্তি, কত যন্ত্রণাই না আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সব স্কুলে ২০১৭ সালে বাধ্যতামূলক বাংলা পড়ানোর নির্দেশ দেয় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। মনে হয় যে ভাষার আগে 'মাতৃ' শব্দটা জুড়ছি, তার ওপরও এমন দুরমুশ চালানো যায়? তাকে এতটাও পীড়ন করা যায়? আবার এখনকার সিনেমায়, সিরিয়ালে ব্যবহৃত নানা হিন্দি শব্দ, ডায়লগের ভগ্নাংশ, বাংলা ভাষায় তা সে যতই অর্থহীন হোক না কেন, তার যথেচ্ছ ব্যবহারেও আমরা কেমন নির্বিকার। তাই আমাদের দেশে বাংলা ভাষা নিয়ে যুক্তি-তর্কে সভা-সমিতি, রেডিও-টিভির প্যানেল ডিসকাশন যতই সরগরম হয়ে উঠুক না কেন, পত্র-পত্রিকার পাতায় অবধি, 'মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম' এই প্রবচনের জ্ঞান গম্ভীর প্রবন্ধেই তা সীমাবদ্ধ থেকে যায়। সেই দুগ্ধের অভাব ঘটিয়ে কীভাবে আমরা নিজেরাই ভাষাকে অপুষ্ট-রিকেটি করে তুলছি - সেই ভাবনা আমাদের চেতনায় ঘা দেয় না কখনও। ভারতে ২০১১ 'র জনগণনা রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যার প্রায় ৪৩.৬৩ শতাংশ হিন্দিতে কথা বলে। এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার ভাষা কিন্তু বাংলা। হায়, তা সত্ত্বেও সে কেবলই আজ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। মনে পড়ছে, বাম আমলে সরকারি পর্যায়ে কাজের ভাষা, হোর্ডিং, সব স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক - ইত্যাদি বিষয়ে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতায় 'ভাষা শহিদ স্মারক সমিতি' উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু সে উদ্যোগ তত কার্যকর হয়নি বলেই ২০১৭তে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গে সব স্কুলে বাধ্যতামূলক বাংলা পড়ানোর নির্দেশ দিতে হয়। আমার মনে হয় বাংলাভাষা সম্পর্কে এই অবজ্ঞাই ছেলে মেয়েদের মাতৃভাষা সম্পর্কে অনাগ্রহী করেছে। অভিভাবকরাও মনে করেন বাংলাটা না জানলেও চলবে। এই অনাগ্রহ আর অবহেলার মধ্যেই কিন্তু ভাষার মৃত্যুবীজ লুকিয়ে থাকে। ইউনেস্কোর মতে পৃথিবীর প্রায় ২৫০০ ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার বিপদ সম্মুখীন। যার মধ্যে এমন কিছু ভাষা আছে যাতে কথা বলে হয়তো আর জনা তিরিশেক মানুষ। এবং বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ যত ভাষায় কথা বলে, তার পঞ্চাশ শতাংশই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই শতাব্দীর শেষে। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।) তাই ইউনেস্কোর কাছে ২০১০ সালে বাংলা 'পৃথিবীর সব চেয়ে মিষ্টি ভাষা'-র স্বীকৃতি পেলেও তার উচ্চারণে ভারতীয় বাঙালির নবীন প্রজন্মের বৃহদাংশের এত অনীহা দেখে আশঙ্কাই হয়, এই বুঝি বাংলা ভাষাকে তারা কাঁধ ঝাঁকিয়ে ফেলে দিল বোলে।
পশ্চিমবঙ্গ: যেখানে বাংলা ভাষা নিয়ে 'গরব' নাই, আশাও নাই
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকে বলেছেন, সরকার কারচুপির করে একচেটিয়া জয় পেয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করেন। কিন্তু তারপরও বিএনপির এই ফলাফল বিপর্যয় তাদের জন্য বড় আঘাত। তারা মনে করেন, পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব তাদের দলের মাঠ পর্যায়ে বেশি পড়বে। তবে দলটির সিনিয়র নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের হতাশা কাটাতে এখন দল গোছানোর বিষয়ে বেশি নজর দেবেন। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া জেলে থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। দলটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তৃণমুলের নেতাকর্মিরা তাদের জন্য একটা অনুকুল পরিস্থিতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফলাফল বিপর্যয়কে তারা এখন দলের জন্য বড় সংকট হিসেবে দেখছেন। আরো পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের এতো কম আসন আশা করেনি জাতীয় পার্টি যেভাবে বিবিসির চোখে পড়লো ভোটের আগেই পূর্ণ ব্যালটবক্স বিএনপির প্রাপ্ত ভোট চমকে দিয়েছে অনেককে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আগ্রহ ছিল মানুষের মাঝে। দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা যশোরে বিএনপির ভাল অবস্থান ছিল। সেখান থেকে দলটির একজন নেতা মকবুল হোসেন বলছিলেন, এবার তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা বেশি কাজ করছে। "আমরা আশা করেছিলাম, এই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক আর না আসুক, অন্তত প্রধান বিরোধীদল হিসেবে থাকবে। এবং গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করতে পারবো। কিন্তু যেহেতু সম্মানজনক আসন পায় নাই। সেকারণে তৃণমুলে দীর্ঘমেয়াদী বিরোধীদল বা সংগ্রাম করার ক্ষেত্রে কর্মিদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এটা সংগঠনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বা সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।" "এই 'বিপর্যয় সবচেয়ে বড় সংকট" একযুগ ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এই পুরো সময়টায় দলটিকে বিপর্যয়ের মধ্যে থেকে চলতে হয়েছে। সর্বশেষ খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার বিষয়টি দলটিকে বড় সংকটে ফেলেছিল। তৃণমুলের নেতাকর্মিরা এসব পরিস্থিতির শিকার বেশি হয়েছেন বলে তারা মনে করেন। তাদের একটা বড় অংশ মামলার কারণে এলাকার বাইরেই পালিয়ে থেকেছেন। সেখানে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা থেকে বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, এখনকার বিপর্যয়কে তারা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? বছর জুড়ে যে ৯টি ঘটনা আলোচিত ছিল নতুন বছরে সংকল্পে স্থির থাকার পাঁচটি উপায় ভোটের খবরের জের ধরে খুলনায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আরো পড়তে পারেন: বিএনপির প্রাপ্ত ভোট চমকে দিয়েছে অনেককে নির্বাচনের প্রভাব: ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে কেন অনেক মানুষের জন্ম পহেলা জানুয়ারি "১২ বছরে এবারের আঘাতটা কিন্তু আরও বড় ধরণের," তিনি বলছেন, "এবারের নির্বাচনে বিএনপি একেবারে অগোছালো ছিল। বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা, নেতাকর্মিরা সেটা জানতো না, অন্ধকারে ছিল। এবং কর্মিদের তৈরি করে মাঠে নামানো, সে ধরণের কোন কিছু ছিল না।" "হঠাৎ করে নির্বাচনে যাওয়া। তারপরও দল যেহেতু নতুন একটা ফ্রন্ট গঠন করেছে, নেতাকর্মিরা মনে করেছে, হয়তো জোটগতভাবে এগুতে পারবে এবং সরকার হয়তো সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। এর কোনটাই না হওয়ায় নেতাকর্মিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।" আরও কয়েকটি জেলায় বিএনপির নেতা কর্মিদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তারা বিশ্বাস করেন যে, ব্যাপক কারচুপি করে সরকার বিএনপিকে মাত্র পাঁচটি আসন দিয়েছে। এরপরও মাঠপর্যায়ের নেতারা তাদের কর্মিদের নিরাপত্তার বিষয়সহ অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। এক নজরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল উত্তরের রাজশাহী থেকে বিএনপির একজন নেতা শফিকুল আলম বলছিলেন, নেতাকর্মিরা এলাকায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। "এই নির্বাচনে প্রথমে ভেবেছিলাম, ক্ষমতায় যাব। প্রচারণা শুরুর পর আমাদের ওপর ওপর সরকারের সহিংস হামলার ঘটনা এবং তাদের একতরফা প্রচারণায় মনে হয়েছিল, বিরোধীদলে যাব।" "কিন্তু একেবারে পাঁচ সাতটি আসনে নামিয়ে আনায় আমাদের কর্মিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা।" কীভাবে সামনে এগিয়ে যাবে বিএনপি? দল কি করবে বা কিভাবে এগুবে এসব প্রশ্নও উঠছে বিএনপিতে। নুরুল ইসলাম মঞ্জু মনে করেন, তাদের দলের স্বকীয়তা বজায় রাখার প্রশ্নেও ঘাটতি হয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া "গত দু'দিন ধরে মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, বিএনপিকে নিজস্ব জায়গা থেকে ঘর গুছিয়ে, দল গুছিয়ে নিজের সত্তায় ফিরে আসতে হবে। জোটবদ্ধ রাজনীতি করলেও বিএনপির নিজস্ব একটা সত্তা আছে এবং ছিল। সেখানে বিএনপিকে আসতে হবে।" নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও হতবাক হয়েছেন। তাদের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়েছে। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেছেন, দলে হতাশা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে তারা বেশি নজর দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, "আমাদের জন্যতো স্বাভাবিকভাবে এটা একটা সেটব্যাক বলা যেতে পারে। এখন আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।" "যদি আমরা টিকে থাকতে চাই, আমাদের যারা এই সময়ে সংগঠনের সাথে ছিল, যারা এই সময়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল, তাদেরকে আমাদের সামনের দিকে নিয়ে আসতে হবে।আর পালিয়ে বেরিয়েছে, আমাদের এড়িয়ে গেছে, তাদের একটু দূরে রেখে সংগঠন গোছাতে হবে।" বিএনপির নেতারা এটাও উল্লেখ করেছেন, তারা দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে এগুতে চান। বিশ্লেষণ: হতাশা কাটিয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এই নির্বাচনের ফলাফল বিএনপির নেতা-কর্মি এবং সমর্থকদের মধ্যেও অনেক বড় হতাশা সৃষ্টি করেছে। "বিএনপি তো আসলে সংকটের মধ্য দিয়ে অনেক দিন ধরেই যাচ্ছে। তাদের নেতৃত্বের সংকট, কি ধরণের কৌশল হবে রজনীতিতে, তার সংকট ছিল। এর মধ্যে নির্বাচনে যে পাফরমেন্স এটার পেছনে অনেক কারণ আছে, কিন্তু এটাতো হতাশা সৃষ্টি করেছে।" "হতাশা সৃষ্টি করেছে যে, তাহলে কি দলটি আর গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এর থেকে দলকে বের করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।" এই হতাশার পরিণতিতে কি হতে পারে? এই প্রশ্নে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "এটাতো পরিস্কার যে একটা দলের মধ্যে যখন হতাশা থাকে, নেতৃত্বশূণ্য থাকে, তখন আস্তে আস্তে দলটির উপযোগীতা কমে যায়।" "একসময়ে প্রতাপশালী বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, বিরোধীদলেও অত্যন্ত প্রতাপের সাথে ছিল, সেই দল এখন ভাল করে একটা সভা বা মিছিল করতে পারে না। এই অবস্থার মধ্যেতো দলটি ইতিমধ্যে চলে গেছে।" "এই নির্বাচন এই দলের জন্য একটি বড় আঘাত। নির্বাচন কিভাবে হয়েছে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে না কী হয়েছে, এগুলি নিয়ে অনেক বিতর্ক চলবে। এটি বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে, এর তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপির সব পর্যায়ে হতাশা তৈরি হয়েছে। দরজা বন্ধ, ভেতরে ভোট চলছে!
সংসদ নির্বাচন: বিএনপি মাঠ পর্যায়ের নেতা - 'প্রথমে ভেবেছিলাম, ক্ষমতায় যাব; একতরফা প্রচারণায় মনে হয়েছিল, বিরোধীদলে যাব। অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ও মন্ত্রী শাজাহান খান। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলাপ আলোচনা ও নানা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এই আইনটি অনুমোদন করা হয়েছে, যার সাথে যুক্ত ছিলেন পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও সরকারি দলের নেতারাও। তাহলে তারা কেন এখন আপত্তি তুলছেন? বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এই প্রশ্নের জবাবে বিবিসিকে বলেছেন, "নয় দিনে মোট ১৮টি বৈঠক হয়েছে, সেখানে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি জামিন অযোগ্য মামলা হবে না।" "তারা বলেছিল, দুর্ঘটনার সর্বোচ্চ সাজা হবে তিন বছর। কিন্তু পরে তারা সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করেছে। আমরা সেটাও মেনে নিয়েছি। বলেছি, দুর্ঘটনা প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের সাজায় আপত্তি নেই। কিন্তু পরে তো তারা এটাকে জামিন-অযোগ্য করে দিল। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়," বলেন মি. আলী। কিন্তু এই আইন পাস হওয়ার আগে এনিয়ে অনেক বৈঠক হয়েছে এবং এসব বৈঠকের বিবরণীতে এই শ্রমিক নেতারা স্বাক্ষরও করেছেন। এ প্রসঙ্গে ওসমান আলী বলেন,''স্বাক্ষর তো মিটিংয়ের আগে নিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদও করেছি। মাননীয় মন্ত্রী (সড়ক ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী) তখন বলেছেন, আপনাদের কাছে এটা পাঠানো হয়েছে শুধু ফর্মালিটির জন্য। আপনারা ফর্মালিটি রক্ষা করে এটা পাঠিয়ে দেন। আমরা তাই করেছি।" বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান যেখানে সরকারের একজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতা, এসব বৈঠকে তিনিও উপস্থিত ছিলেন, তাহলে তখন কেন এসব অভিযোগ তুললেন না? বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে মি. আলী পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, "তিনি তো নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, এটা কি তার দায়িত্ব?" "২০১৪ সালে বিরোধীদের অবরোধের সময় শাজাহান খানকে লাগে সরকারের, আর এখন আপনি বলেন আপনার মন্ত্রীও তো ছিলেন," বলেন মি. আলী। পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের সময় রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা। আরো পড়তে পারেন: ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ছিলেন ভারতীয় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার ৭ বছর জেল সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবি তুলেছেন এই শ্রমিকরা। এসব বাতিলের দাবিতে এত পরে তাদের আন্দোলন কেন- এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "যখন মাথায় বাড়ি লাগে, তখনই তো আমি ডাক্তারের কাছে যাবো, তার আগে তো নয়।" পরিবহন শ্রমিক নেতা মি. আলীর এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আইন পাসের প্রক্রিয়ায় সবগুলো পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেয়া হয়েছে। তারা বলছেন, এই আইন প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল আরো প্রায় এক বছর আগে থেকে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি সংসদে অনুমোদিত হয়। শ্রমিক নেতারা এখন এসব অভিযোগ তুললেও, আইনটি নিয়ে আলোচনার সময় তাদের সম্মতি ছিল বলে বলছেন, জাতীয় পার্টির নেতা এবং সরকারের প্রতিমন্ত্রী ও পরিবহন মালিক নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা, যিনি নিজেও সেসব আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । মসিউর রহমান রাঙ্গা বলছেন, "যখন আইনটা তৈরি করা হয়, তখন সবাই ছিল। শাজাহান খান ছিলেন, যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, তারাও ছিলেন। তারা তো তখন এসব বলেন নি।" সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ। "এটা তাদের অন্যায় আবদার,এবং অন্যায় ভাবে তারা হরতাল করছে। আইন যখন তৈরি হয়, তখন দশ মাস ধরে তারা সরকারের সঙ্গে ছিলেন। পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হিসাবে আমিও ছিলাম সেখানে। তখন তারা এই আইনের একটা বিষয় নিয়েও কথা বলেনি। এখন কেন বলছেন?" মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্ন। শ্রমিকদের এসব দাবি দাওয়ার বিষয়ে সরকার আপাতত কিছু ভাবছে না বলে তিনি জানিয়েছেন। এবিষয়ে শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ও মন্ত্রী শাজাহান খানের সাথে যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি। ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে তাকে এনিয়ে কোন কথা বলতেও শোনা যায়নি। সরকার-পন্থী পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলীও বলছেন, "ক্ষমতা ও পরিবহন খাতে নিয়ন্ত্রণ দেখাতেই এই ধর্মঘটের আয়োজন। এজন্য তারা অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন ফেডারেশনের শীর্ষ নেতাদের দিকে। তিনি বলছেন, "এই ধর্মঘটের সাথে আসলে সাধারণ শ্রমিকদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা শুধুমাত্র ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এই ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা কোন দাবি আদায়ের ধর্মঘট নয়।" সোমবার রাতে ধর্মঘট শেষ হওয়ার পরেও নতুন কোন কর্মসূচি ঘোষণা করেনি ধর্মঘটী শ্রমিকরা।
বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে এতোদিন কোথায় ছিলেন নেতারা?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শিবিরের পাশে অপেক্ষমান দুই শরণার্থী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য একদিকে বৈদেশিক সাহায্য কমছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নিজেদের তহবিল থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা শরণার্থীদের জন্য খরচ করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। কক্সবাজার শহরজুড়ে গত দুই বছরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিস গড়ে উঠেছে। এদের সবাই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় সবগুলো আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার অফিস রয়েছে এই শহরে। সাথে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অফিস। বাংলাদেশ সরকারের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১৫০টি সংস্থা রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য নিয়ে কাজ করছে। দুই বছর আগে, অর্থাৎ রোহিঙ্গা সংকট শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য যেভাবে এসেছে এখন সেটি কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শরণার্থীদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীরে ঢুকতেই দেয়া হলো না রাহুল গান্ধীকে 'মহাকাশে প্রথম অপরাধ' অভিযোগ তদন্ত করছে নাসা চীনের ওপর কতটা ভরসা করতে পারে বাংলাদেশ কক্সবাজারে কর্মরত ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইএফআরসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মারিয়া ল্যারিও বিবিসি বাংলাকে বলেন, "দাতাদের কাছ থেকে আগ্রহ কমে যাবার বিষয়টি লক্ষ্য করছি। এজন্য আমরা মানবিক কূটনীতি চালিয়ে যাব যাতে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যায়।" আইএফআরসি'র এই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে ভুলে না যায় সেটি গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা সংকট নিকট ভবিষ্যতে শেষ হবে না - একথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, এটি মোকাবেলার জন্য আরো অর্থ প্রয়োজন। দু'হাজার উনিশ সালের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। এই সাহায্যের বড় অংশ খরচ হবে রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য। কিন্তু এই অর্থ পাওয়া যাবে কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ এর আগের বছরেও প্রতিশ্রুত সাহায্যের সবটুকু পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত যতটা মানবিক সহায়তা আসছে সেটির ভিত্তিতে তার কাজ করছেন। তবে প্রয়োজন আরো বেশি। অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব সেভাবে থাকছে না। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পায়। সে সব দেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব কমে গেলে অর্থ সহায়তাও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রোহিঙ্গা শিবিরে মার্কিন চলচ্চিত্র তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ এখন কমছে। গত দুই বছরে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার জন্য। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অর্থায়ন কমে গেলে বাংলাদেশ সরকারকে আরো বেশি টাকা খরচ করতে হবে রোহিঙ্গাদের জন্য। সম্ভাব্য এ পরিস্থিতির আশংকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "প্রথম দিকে সাহায্য নিয়ে যেভাবে তারা অগ্রসর হয়েছিলেন, সে সাহায্যের মাত্রা কমে যাচ্ছে। আগামীতে আরো কমবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছি। এখন তো তারা খুব সুখে আছে। কিন্তু সুখে খুব বেশি দিন থাকবেন না।" বেসরকারি সংস্থাগুলো মনে করছে, রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কমে গেলে সেটি ত্রাণ কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ ধরণের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে। যার প্রভাব পড়বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর।
রোহিঙ্গা: সংকট বাড়ছে, কমছে শরণার্থীদের জন্য অর্থ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: "দলকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে।" বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মি: আলমগীর বলেছেন, এই চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে দূর্বল করার জন্য। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের কোন চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র নেই, বিএনপি ভাঙ্গনের মুখে গেলে, সেটা নিজেদের কোন্দলের কারণেই হবে। ৩০শে ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপির ভেতরে হতাশা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দলটি কি ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে? নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপিতে মতবিরোধের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। মূলত নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল কীনা, তা নিয়ে দলের নেতৃত্বের মাঝে নানা ধরণের মত শোনা যায়। নেতাদের অনেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ তুলছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই সন্দেহ বা অবিশ্বাস এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির জন্য। বিএনপির কার্যক্রমই থমকে গেছে বলা যায়। এমন প্রেক্ষাপটে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করলেন, বিএনপিকে দূর্বল করার জন্য দলটিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। "আজকে অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে।এই চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে দূর্বল করার জন্য। এই চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে, যেটা এরআগেও চেষ্টা করে পারেনি। সেই চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপি বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোট করে দেয়া। কোনদিনও তারা সেটা পারবে না।" নির্বাচনের পর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে মি: আলমগীর তাঁর অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। সরকার বা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও বিএনপিকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিতে ভাঙ্গনের সুর নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এখন বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নেও জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, "বিএনপি যদি ভঙ্গনের মুখে যায়, তাহলে বিএনপি তারা নিজেরা কলহ, কোন্দলে জর্জরিত।এই অবস্থায় তাদের সাথে শত্রুতা করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। আমাদের কোন প্রয়োজন নেই বিএনপিকে ভেঙ্গে ফেলার।" নির্বাচনে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হলেও তাতে ভরাডুবির পর সারাদেশে বিএনপির নেতা কর্মিদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, সেখানে তাদের মনোবল আরও ভেঙ্গে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য দিতে পারেন। তবে বিএনপিতে হতাশা থেকে দ্বন্দ্ব বা কোন্দল বেড়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে দলটিতে সিনিয়র নেতাদের নিয়ন্ত্রণের অভাবও দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীও একইভাবে দেখছেন পরিস্থিতিটাকে। "এটাতো আপনার মেনে নিতেই হবে যে, আওয়ামী লীগের চেয়ে আর কেউ খুশি হবে না যে বিএনপি যদি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। সুতরাং তাদের দিক থেকে উৎসাহের অভাব যে হবে, সে ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্য আমি পুরোপুরি মেনে নিতে পারি না।" "একইসাথে আমি বলবো, নির্বাচনের পরে বিএনপিতে যে ধরণের হতাশা দেখা দিয়েছে, কারণ তৃণমুলের একটা অংশ নির্বাচনে যাওয়ার বিরুদ্ধে ছিল, তাদের মতামতকে উপেক্ষা করেই সিনিয়র নেতারা এই নির্বাচনে গেছে। সুতরাং তাদের দলের মধ্যে যে একটা দ্বন্দ্ব চলছে বা চলতে পারে, সেই আশংকা সর্ম্পর্ণভাবে উড়িয়ে দেয়া যায়না।" খালেদা জিয়ার কারাবাস দলের মধ্যে নেতৃত্বের সংকট তৈরি করেছে। নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া এবং তাতে শেষ পর্যন্ত থাকা-এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে দলটির সব পর্যায়ের নেতা কর্মিদের মাঝেই আলোচনা হচ্ছে। দলটির সিনিয়র নেতাদের মাঝে সন্দেহ বা অবিশ্বাস এমন অবস্থার তৈরি করেছে যে, বিএনপির ভবিষ্যত কর্মসূচি বা পরিকল্পনার ব্যাপারে দলটির সিনিয়র নেতাদের কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসছেন না। বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন,এবার নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে।তাদের মধ্যে এই দায় এক অপরের ওপর চাপানোর চেষ্টাও রয়েছে। তবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেছেন, তাদের মাঝে সমস্যা থাকলেও বিএনপি তার জায়গাতেই থাকবে বলে তিনি মনে করেন। "বাংলাদেশ যত রাজনৈতিক আছে, সব দলইতো ভাঙ্গাগড়ার মধ্য দিয়ে গেছে। আর তাছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্য কেন? বিএনপির ব্যাপার বিএনপির। কিন্তু এর সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নাই বলার মানে কি সম্পর্ক আছে?" বিএনপির নেতাদের অনেকে এটাও বিশ্বাস করেন, মুল দল থেকে কারও বেরিয়ে গিয়ে ঝুঁকি নেয়ার সম্ভবনা কম। তবে এখনকার পরিস্থিতি থেকে দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় নেবে বলে তারা মনে করেন।
'বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র': কেন এই অভিযোগ তুলছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
দাহ করার আগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লঙ্কান মুসলমানদের প্রতিবাদের দৃশ্য এর আগে সংখ্যালঘুদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে বা দাহ করতে বাধ্য করা হলেও তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিলো কারণ ইসলাম ধর্মে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম নেই। ভারত মহাসাগরের মান্নার উপসাগরে ইরানাথিবু দ্বীপটি এখন করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য নির্ধারণ করেছে শ্রীলংকা সরকার। এ দ্বীপটি রাজধানী কলম্বো থেকে তিনশ কিলোমিটার দুরে এবং দাফনের জন্য এই দ্বীপকে নির্বাচিত করার কারণ হিসেবে এর কম ঘনবসতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কলম্বো গেজেট জানিয়েছে যে সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেলা বলেছেন দ্বীপটির এক পাশে এজন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে দাফনের জন্য পর্যাপ্ত গাইডলাইন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিশ দিনের শিশুর মরদেহ জোর করে দাহ, ক্ষোভে ফুঁসছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা কতটা উদ্বেগে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা শ্রীলংকায় মৃত মুসলমানদের কবর না দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে শ্রীলংকার মুসলিমদের অভিযোগ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে কিন্তু বিষয় হলো পুড়িয়ে ফেললে ইনফেকশন ছড়াবে না-এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। বরং দাহ করাকে একটি সাংস্কৃতিক চর্চা হিসেবেই দেখা হয়। মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাই কমিশনার বলেছেন দাহ করার নীতি মুসলিম, ক্যাথলিক ও কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাদের পরিবারের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা শ্রীলংকা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। "এটি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত," বলছেন শ্রীলংকা মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ। "এটা একেবারেই বর্ণবাদী এজেন্ডা"। অনেকে মনে করেন ২০১৯-এ শ্রীলংকার চার্চ ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলার পর মুসলিমদের ‌ভীতির পাত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে ওদিকে ওই দ্বীপের একজন ধর্মযাজক মাধুথিন পাথিনাথার বলেন সরকারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়রাও কষ্ট পেয়েছে। "আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। এটা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হবে"। তিনি বলেন ওই দ্বীপে আড়াইশোর মতো তামিল বসবাস করে যারা ৯০এর দশকে গৃহযুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলো। শ্রীলংকায় মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আছে। তবে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক দাহ করার নীতি থেকে সরকার সরে আসার ঘোষণা দিলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তও তাদের জন্য অবমাননাকর বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলংকায় করোনায় আক্রান্ত এ পর্যন্ত মারা গেছ ৪৫০ জন কিন্তু এর মধ্যে তিনশ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের সফরের পর সংখ্যালঘুদের দাফনের সিদ্ধান্ত আসে শ্রীলংকা সরকারের তরফ থেকে।
করোনাভাইরাস: শ্রীলংকায় মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কবর হবে প্রত্যন্ত দ্বীপে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
তিনি বলেন, তাঁর প্রাথমিক ইচ্ছা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া। কিন্তু পরে তিনি ইরাক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার মতো ভুল না করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা থাকবে এবং 'জয়ের জন্য লড়াই' চালিয়ে যেতে হবে। ফোর্ট মাইয়ার সেনা ঘাঁটি থেকে তিনি ওই ভাষণ দেন। সেনা ঘাঁটিতে দেয়া এই বক্তব্যে খুব বড় ঘোষণা আসবে বলা হলেও, আফগানিস্তানে মার্কিন কৌশলের বিস্তারিত কী হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, কিছু শর্তের ভিত্তিতে তারা কৌশল নির্ধারণ করবেন, তবে সেনা সরিয়ে নেয়ার কোনো সময়সীমা তিনি ঘোষণা করা হবে না। যদিও মি: ট্রাম্প বলেছেন এটা কোনো 'ফাঁকা বুলি' নয়। "আমেরিকা আফগান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, দুই দেশের এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি আছে। যতদূর অগ্রগতি হয় ততদূর কাজ করবো আমরা" বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে আফগানিস্তানে নতুন কত সেনা মোতায়েন করা হবে, সে সংখ্যা উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তবে এখন থেকেই নতুন কৌশল শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন করে আফগানিস্তানে আরো চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এর আগে মার্কিন শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানান, আফগানিস্তানে যেন চার হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখোনে আট হাজার চারশো মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটে সিলেকশন নিয়ে বিতর্ক কেন? নায়ক রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে তিনি 'নায়ক রাজ' হয়ে উঠলেন ২০৯০ সালের আগে এমন সূর্যগ্রহণ আর হবে না
আফগানিস্তানে 'জয়ের জন্য লড়াই' চালানোর ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গবেষণায় দেখা গেছে যারা ধীরে হাঁটে তাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের বয়স বেশি বেড়ে গেছে। হাঁটার গতির ওপর সহজ এক পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা কতো দ্রুত বয়স বাড়ছে সেটা পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা ধীরে হাঁটেন তারা যে শুধু তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যান তাই নয়, তাদের মুখও দেখায় বুড়োটে এবং তাদের মস্তিষ্কের আকৃতিও ছোট হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক গবেষকদের দলটি বলেছে, তাদের এই গবেষণার ফলাফল ''দারুণ চমকপ্রদ।'' চিকিৎসকরা সাধারণত হাঁটার গতি ও ভঙ্গী দেখে কারো স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা বুঝতে পারেন, বিশেষ করে ৬৫ বছরের বেশি বয়স যাদের। কারণ হাঁটার গতিপ্রকৃতি থেকে মাংসপেশীর শক্তি, ফুসফুসের সুস্থতা, মেরুদণ্ডের শক্তি এবং দৃষ্টিশক্তির উজ্জ্বলতা বোঝা যায়। বৃদ্ধ বয়সে হাঁটার গতি ধীর হয়ে যাওয়ার সঙ্গে স্মৃতিভ্রমের যোগাযোগও করেছেন কোন কোন বিজ্ঞানী। 'সমস্যার লক্ষ্মণ' এই গবেষণা চালানো হয়েছে নিউজিল্যাণ্ডে এক হাজার লোকের ওপর। যাদের জন্ম ১৯৭০এর দশকে। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের সবরকম তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের হাঁটার গতিপ্রকৃতির ওপর পরীক্ষা চালানো হয় আরও আগে থেকে। এই গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হতো, বিভিন্ন সময়ে তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার পরীক্ষা নেয়া হতো এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্ক্যান করা হতো। তাদের শিশু বয়স থেকে প্রতি দুবছর অন্তর বুদ্ধিবৃত্তি ও চিন্তাশক্তির সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হতো। ''এই গবেষণায় দেখা গেছে বৃদ্ধ বয়স হবার আগেই ধীরগতিতে হাঁটা সমস্যার প্রতি একটা ইঙ্গিত,'' বলছেন লণ্ডনের কিংস কলেজ এবং আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং এই গবেষণা পত্রের প্রধান লেখক টেরি মফিট। তিনি বলছেন, এমনকী ৪৫ বছর বয়সী যারা ধীরে হাঁটেন তাদের মধ্যেও হাঁটার গতিতে বিস্তর ফারাক দেখা যায়। তবে তার কথায় মোদ্দা বিষয়টা হল, যাদের হাঁটার গতি যত ধীর হয়ে যায় তাদের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াও তত দ্রুততা পায়। তাদের ফুসফুসের ক্ষমতা, দাঁতের অবস্থা এবং রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা যারা দ্রুত হাঁটেন তাদের থেকে খারাপ হয়ে যায়। আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য: হৃদরোগ ঠেকাতে খাদ্যভ্যাসে ৫টি পরিবর্তন কীভাবে বুঝবেন আপনি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত? চিনিযুক্ত পানীয় কি ক্যান্সারের কারণ? আপনার শিশুর বৃদ্ধির জন্য যা খাওয়াতে পারেন গবেষকরা ৮ মিটার লম্বা একটি প্যাডের ওপর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাঁটার গতি পরীক্ষা করে দেখেন এই গবেষণায় সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা হলো মস্তিষ্কের স্ক্যান থেকে দেখা গেছে যাদের হাঁটার গতি যত ধীর হয়ে গেছে, তাদের মস্তিষ্কের বয়স তত বেশি বেড়ে গেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন, মাত্র তিন বছর বয়সে মানুষের বুদ্ধি, ভাষা ও স্নায়বিক দক্ষতা পরীক্ষা করে তারা নির্ধারণ করতে পারেন ৪৫ বছর বয়সে তাদের হাঁটার গতি কী হবে। তারা বলছেন, চল্লিশের বেশি বয়সে যাদের হাঁটার গতি ধীর হয়ে যায়, শিশুকালে তাদের আই.কিউ. (বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি) যারা ৪৫ বছরেও দ্রুত হাঁটেন তাদের থেকে ১২ পয়েন্ট কম ছিল। 'জীবনযাপনের সঙ্গে যোগাযোগ' আন্তর্জাতিক গবেষক দল তাদের গবেষণা ফলাফলে লিখেছেন, স্বাস্থ্য এবং বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্যের একটা কারণ শিশুকাল থেকে জীবনযাপনের মান। জীবনের শুরুতে যারা ভাল মানের জীবনযাপনের সুযোগ পেয়েছেন তাদের বুদ্ধিমত্তা ও স্বাস্থ্যের ওপর তার একটা প্রভাব পড়েছে। গবেষকরা বলছেন, অল্প বয়সে হাঁটার গতি পরিমাপ করে মানুষের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার পদ্ধতি বা চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা সম্ভব। নিচু ক্যালরির খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার উপযোগিতা নিয়ে এখন গবেষণা চালানো হচ্ছে। তারা বলছেন, এই গবেষণার ফলাফল বয়স কম এবং স্বাস্থ্য ভাল থাকা অবস্থায় মানুষকে মস্তিষ্কের বয়স বাড়া বা সাধারণভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য জীবনযাপনের মান বদলানোর বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে সাহায্য করবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে কিছু সংগঠনের ক্ষোভ সিরিয়া তুরস্ক সীমান্তে চলছে তীব্র লড়াই পথেঘাটে 'মেয়ে-পটানো'র কায়দা কানুন: রোমান্টিক না অপরাধ? স্থূলতা: মোটা হওয়া নিয়ে যে সাতটি ভুল ধারণা রয়েছে
চল্লিশের পর ধীরে হাঁটা 'দ্রুত বুড়ো হবার লক্ষ্মণ'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
আগ্রায় সম্রাট শাহজাহানের নির্মিত তাজমহলকে ঘিরে প্রতিদিন ৭০,০০০ পর্যটকের আনাগোনা। আদালত বলেছে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার উভয়ই এই স্মৃতিসৌধটির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে 'অলসতা' দেখিয়েছে। সপ্তদশ শতকে মোঘল আমলে নির্মিত এই স্থাপনাটির ওপর দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে চলতি বছরের মে মাসে আদালত সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছিল তাজমহলের মার্বেল পাথরের গাঁথুনির রং পরিবর্তনের বিষয়ে বিদেশীদের সহায়তা নিয়ে তা পুনরুদ্ধারের জন্য। আদালত তখন বলে, এই ভুবন-বিখ্যাত সমাধি সৌধটির সাদা মার্বেল এবং অন্যান্য উপাদান হলুদাভ রং ধারণ করেছে, তা ধীরে ধীরে বাদামী এবং সবুজ রং নিচ্ছে। দূষণ, নির্মাণকাজ এবং কীটপতঙ্গের বিষ্ঠা এর কারণ। আরও পড়ুন: তাজমহল কি কখনো হিন্দু মন্দির ছিল? তাজমহলের রং বদল নিয়ে চিন্তিত ভারত পোকামাকড়ের বর্জ্যে তাজমহলের দেয়াল সবুজাভ হয়ে উঠছে সরকারের তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয় যে, তাজমহলের ভেতরে এবং বাইরে দূষণ কিভাবে ঠেকানো যায় সে বিষয়ে পরামর্শের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আরও বলে, এর আশেপাশের হাজার খানেক কারখানা এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পরিবেশবাদী এবং এ নিয়ে সোচ্চার ব্যক্তিরা বলছেন এরপরও সাদা মার্বেল তার দীপ্তি হারিয়ে ফেলছে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধি আর স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে ভারতের আগ্রায় এই স্থাপত্যটি তৈরি করেন, যিনি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এটিকে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে মনে করা হয়। তাজমহলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর দূষিত পানির কারণে সেখানে নানা পোকামাকড়ের আনাগোনা এবং তাজমহলের দেয়ালে তাদের মলত্যাগ করার ফলে বিবর্ণ হয়ে পড়ছে দেয়াল। খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতেই দিলো না দিল্লী যৌনরোগ 'এমজি' হতে পারে পরবর্তী মরণব্যাধি 'ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ: এবার নয়তো কখনো নয়'
তাজমহল রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ ভারতের সরকার, বলছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ৩৫ হাজার। কিন্তু ফুটবলে তাদের সাফল্য বিস্ময়কর। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? ফুটবলের মান উন্নয়নে আইসল্যান্ড চেষ্টা শুরু অতি সাম্প্রতিক কালে। মাত্র তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৫২ জন মানুষের এই দেশটির ফুটবল দলে আছে অবশ্য বিচিত্র সব চরিত্র। বিশ্বকাপে যে ইতিহাস তারা তৈরি করেছে, এরাই তার নেপথ্য নায়ক: পরিচালক: হ্যানস হ্যালডরসন হ্যানস হ্যালডরসন মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে হ্যানস এখন আইসল্যান্ডের নতুন জাতীয় বীর। কিন্তু গোলপোস্টে বল ঠেকানোই হ্যানসের একমাত্র কাজ নয়। তিনি একজন পরিচালকও বটে। তিনি অভিনেতাদের নির্দেশনা দেন। ২০১২ সালের ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় আইসল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে যে মিউজিক ভিডিও, সেটির পরিচালক তিনি। যে ফিল্ম কোম্পানিতে তিনি কাজ করেন, নরওয়ের সেই 'সাগাফিল্ম' জানিয়েছে, ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে তিনি পুরনো চাকুরিতে ফিরে যেতে পারেন। রাজনীতিক: রুরিক গিসলাসন রুরিক গিসলাসন মিশরের স্ট্রাইকার মো সালাহ অপ্রত্যাশিতভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পান। কারণ দশ লাখের বেশি ভোটার ব্যালট পেপারে তার নাম লিখে তাকেই ভোট দিয়েছিল। কোন নির্বাচনে ফুটবলার বা সেলিব্রেটিকে টেনে আনার ইতিহাস অবশ্য পুরোনো। ডাচ ভাষায় তো এর জন্য একটা শব্দই তৈরি হয়ে গেছে। ইউরো ২০১৬-তে আইসল্যান্ডের সাফল্যের পর মিডফিল্ডার রুরিক এতটাই খ্যাতিম্যান হয়ে উঠলেন যে রেকিয়াভিক সাউথ আসনে দক্ষিণপন্থী ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি থেকে তাকে পর পর দুটি নির্বাচনে প্রার্থী করা হলো। তবে মো সালাহ'র সঙ্গে তার ঘটনার তফাৎ আছে। তার সম্মতি নিয়েই তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে তার কোন পরিকল্পনা ছিল না নির্বাচনে জিতলে পার্লামেন্টে আসন নেয়ার। কারণ তিনি ফুটবল খেলেন জার্মানিতে। ফুটবল পরিবার: আলবার্ট গুডমুন্ডসন আলবার্ট গুডমুন্ডসন ২০১৬ সালের ইউরো কাপের সময় আইসল্যান্ডের একজন মানুষ খুব বিখ্যাত হয়ে গেলেন, অন্তত তার কন্ঠের জন্য। তিনি আইসল্যান্ডের ফুটবল ধারাভাষ্যকার গুডমুন্ডুর বেনেডিক্টসন। যেভাবে উত্তেজিত ভাষায় তিনি গোলের ধারাভাষ্য দিতেন, ভাষা বুঝুক আর না বুঝুক, সেটি সারা দুনিয়ার মানুষ শুনে দারুণ মজা পেয়েছিল। বেনেডিক্টের গলায় যে উত্তেজনা, সেটি বুঝতে এক বিন্দু আইসল্যান্ডিক ভাষা জানার দরকার নেই আসলে। এই বেনেডিক্টের ছেলেই হচ্ছেন আইসল্যান্ড দলের আরেক তারকা আলবার্ট গুডমুন্ডসন। তবে তাদের পারিবারিক ফুটবল ঐতিহ্যের গল্প কেবল এটুকুতেই শেষ নয়। আলবার্টের মাও একজন সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। আর আলবার্টের নানা ছিলেন আরেক নামী ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি আইসল্যান্ডের টপ ডিভিশন ফুটবলে ১৯৮৭ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডধারী। আর আলবার্টের প্রপিতামহ, যার নামও আলবার্ট, তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম পেশাদার ফুটবলার। যিনি ১৯৪০ এর দশকে আর্সেনাল আর এসি মিলানের মতো দলে খেলেছেন। দন্ত চিকিৎসক: হেইমির হ্যালগ্রিমসন হেইমির হ্যালগ্রিমসন জাতীয় দলের ম্যানেজার হওয়ার আগে বহু বছর দাঁতের ডাক্তার ছিলেন হেইমির হ্যালগ্রিমসন। দেশটির প্রথম মহিলা ফুটবল দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৯০ এর দশকে। তবে তখনো পাশাপাশি দন্ত চিকিৎসকের কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এটাই তার পেশায় পরিণত হলো। ২০১১ সালে পুরুষ জাতীয় দলের সহকারী ম্যানেজার হলেন। ২০১৬ সালে পুরোপুরি ম্যানেজারের দায়িত্ব পেলেন। বেকারি মালিকের ভাই: কোলবেইন সাইথরসন কোলবেইন সাইথরসন যদিও বিশ্বকাপের চুড়ান্ত স্কোয়াডে তার জায়গা হয়নি, তারপরও কোলবেইন এবং তার ভাইয়ের নাম উল্লেখ না করাটা লজ্জার ব্যাপার হবে। ২০১৬ সালের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় গোলটি কিন্তু কোলবেইনের করা। আর আন্দ্রেই এখন তারই ফুটবল এজেন্ট। একসময় আন্দ্রেই নিজেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলতেন, কিন্তু বাস্তবে সেরকম সাফল্য পাননি। আন্দ্রে তাদের পারিবারিক ব্যবসা, রুটি তৈরির বেকারি দেখাশোনা করেন।
বিশ্বকাপ ২০১৮: দন্ত চিকিৎসক, রাজনীতিক, পরিচালক: আইসল্যান্ডের ফুটবল দলের সাফল্যের নায়কেরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। তারা বলছে, কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে সড়কের পাশে বসে দুটো দলিত শিশু বুধবার যখন পায়খানা করছিল তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের একজনের নাম রশ্নি (১২) এবং আরেকজন অভিনাষ (১০)। ওই দুটো শিশুর পরিবার বিবিসির হিন্দি বিভাগকে জানিয়েছে যে তাদের বাড়িতে কোন টয়লেট নেই। ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। এর ফলে প্রায়শই ঝুঁকির মুখে পড়ে নারী ও শিশুর জীবন। ভারতের দলিত সম্প্রদায় হিন্দু ধর্মানুসারে নিম্ন বর্ণের একটি গোষ্ঠী। তাদের সুরক্ষার জন্যে বহু আইন করার পরেও তারা এখনও নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ চান্ডেল বিবিসিকে বলেছেন, "দুটো শিশুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।" "যে দু'জনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে," বলেন তিনি। বুধবার সকালে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ রামেশ্বর ইয়াদভ এবং হাকিম ইয়াদভ নামের উচ্চ বর্ণের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। রশ্নি ও অভিনাষ আত্মীয়। অভিনাষের পিতামাতা রশ্নিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার পর থেকে সে রশ্নিদের বাড়িতেই বসবাস করছিল। অভিনাষের পিতা মনোজ বলছেন, তিনি একজন দিনমজুর। বাড়িতে টয়লেট বানানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। রাতের বেলায় নারীরা যখন টয়লেট করতে বাড়ির বাইরে যায়, প্রায়শই তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। 'টয়লেট নিয়ে' বিড়ম্বনায় নরেন্দ্র মোদী ও বিল গেটস পরিবেশ রক্ষার জন্য 'একদিন পর পর মলত্যাগ করুন' ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র ভারতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে বাড়িতে টয়লেট বসাতে পারে সেজন্যে সরকার যে ভর্তুকি দিয়ে আসছিলো তার সুবিধাও মনোজ নিতে পারেন নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতে প্রকাশ্যে মলত্যাগ বন্ধ করার জন্যে সারা দেশে টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে সারা দেশে 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে এই প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এবছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে তার দেশকে 'খোলা জায়গায় মলত্যাগ' থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত সরকার মনোজের গ্রাম ভাবখেদিকে ইতোমধ্যেই 'প্রকাশ্যে মলত্যাগের' মতো ঘটনা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে সম্প্রতি টয়লেট নির্মাণ বেড়ে গেলেও পানি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে বহু মানুষ এখনও খোলা জায়গাতেই মলত্যাগ করছে। এবিষয়ে মানুষের আচরণেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবে অনেকেই মি. মোদির এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন। এজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সম্প্রতি তাকে সম্মাননাও দিয়েছে। ফাউন্ডেশনটি বলছে, "স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিশ্বের বাকি দরিদ্র দেশগুলোর জন্যে একটি উদাহরণ হতে পারে।" আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসন প্রচেষ্টার পেছনে কী? প্রকাশ্যে মলত্যাগ করায় শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ক্ষুদে তারকারা জলবায়ু পরিবর্তন: জাতিসংঘের 'রেড-অ্যালার্ট' টয়লেট বৃত্তান্ত: কমোডে কীভাবে বসবেন?
ভারতে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করায় দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগে দু'জন গ্রেফতার
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মুজিব জম্মশতবার্ষিকীর উদ্ভোধনী হওয়ার কথা রয়েছে ১৭ই মার্চ। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই উদযাপনের অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা মতোই চলবে। তবে জনসমাগম হবে যেসব অনুষ্ঠানে সেই অনুষ্ঠানগুলো আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ই মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যে জনসমাগম কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে এব্যাপারে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে মি. চৌধুরী জানান। রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদযাপন কমিটির এক বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমান বন্দর এলাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেসব বিদেশি অতিথিকে এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল - করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় এনে তাদের প্রতি নতুন করে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে। ঢাকায় একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কঠোর নিরাপত্তা। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। সম্পর্কিত খবর: করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে ৩ রোগী, হুঁশিয়ার থাকার ডাক করোনাভাইরাস: মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলবে? মোদীর ঢাকা সফরের পক্ষে-বিপক্ষে নানা অবস্থান এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। ইতালির কর্তৃপক্ষ সে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৬০ লক্ষ্য লোকের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সে দেশের লোম্বার্ডি অঞ্চল এবং আরও ১৪টি প্রদেশে মানুষের চলাফেরা এবং কাজকর্মের ওপর এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব অঞ্চল থেকে কাউকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস: মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কাটছাঁট, নরেন্দ্র মোদীসহ বিদেশি অতিথিরা আসছেন না
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
দাহরানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রাজধানী রিয়াদের বাইরে প্রিন্সেস নোরা ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে যাত্রা শুরু করেছেন ড্রাইভিং প্রশিক্ষণরতএক নারী। সাথে রয়েছেন তাঁর প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষক নিজেও একজন নারী এবং দীর্ঘদিন ব্রিটেনে বসবাস করেছেন। সে নারী তাঁর প্রশিক্ষককে জিজ্ঞেস করলেন, যে তিনি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাতে পারেন কিনা? প্রশিক্ষক বলেন. তিনি ৪০ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারেন। কিন্তু ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি নয়। রাজধানী রিয়াদের একটি গাড়ির শো-রুমে ব্যবসায়ী নাজিয়া আল হাজা সবচেয়ে আধুনিক গাড়িটি দেখছিলেন। তিনি বড় আকারের একটি গাড়ি কিনতে চান। এর আগে তিনি যখন গাড়ি কিনেছিলেন তখন কেবল পেছনের আসেনেই বসে থাকতেন। "প্রতিবার আমি যখন নতুন গাড়ি কিনতাম তখন আমার কান্না পেত। অন্য একজন ড্রাইভর আমার গাড়ি চালাবে, কিন্তু আমি গাড়ি চালাতে পারবোনা, এটা ভেবে আমার কান্না পেত। এতে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যেত। আমার টাকা দিয়ে আমি গাড়ি কিনেছি, কিন্তু আমি এ গাড়ি চালাতে পারবো না। কিন্তু এখন আমার সে স্বপ্ন পূরণ হবে," বলছিলেন নাজিয়া। এসব কিছুর জন্য যিনি কৃতিত্ব পাচ্ছেন তিনি হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের সমাজে নানা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন এ ক্রাউন প্রিন্স। রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবি দেখা যায়। কিন্তু সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর উপর বিধি-নিষেধ তুলে নেবার দাবীতে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের কয়েকজন এখন কারাগারে। আরো পড়তে পারেন: চালকের আসনে সৌদি নারীরা সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সিমুলেটার ব্যবহার করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রত্না বেগম বলেন, " ড্রাইভিং-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার কয়েক সপ্তাহ আগে সৌদি কর্তৃপক্ষ অনেক নারীকে আটক করেছে, যারা নারীদের উপর থেকে ড্রাইভিং-এর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার বিষয়ে আন্দোলন করেছেন। যেসব পুরুষ তাদের সমর্থন করেছে তাদেরও আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।" সন্ধ্যার সময় রিয়াদের একটি মার্কেটে যান বিবিসির সংবাদদাতা। দেখা যায়, মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণের পাশাপাশি জামা-কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে সেখানে। আর নারীদের আপাদমস্তক ঢাকার জন্য বোরকা, হিজাব এবং নেকাবও বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের চারপাশে তাকালে পরিবর্তন খুব একটা দেখা যায়না। অনেক নারীকে দেখা যায় যাদের পুরো মুখ ঢাকা কিংবা মাথা ঢাকা। তবে সেখানে লোকজনের সাথে কথা বললে পরিবর্তনের একটি আভাস লক্ষ করা যায়। এক ব্যক্তি যেমনটা বলছিলেন, নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ায় তিনি বেশ খুশি হয়েছেন। হাসিমাখা মুখে তিনি বলেন. "আমার সাথে আমরা স্ত্রী এবং কন্যা আছে। শীঘ্রই নারীরা ড্রাইভিং করতে পারবে। এতে আমরা অনেকটা ভার মুক্ত হবো। আমরা বাসায় বসে বসে থাকবো, আর ওরা নিজেরা নিজেদের কাজ করে করে নেবে।" তিনি বলছেন ড্রাইভিং-এর এক্ষেত্রে সবাই সমান হবে এবং এটা জীবনে স্বাভাবিক বিষয়। নারীদের ড্রাইভিং-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় তিনি বেশ খুশি। বিবিসি বাংলায় আরো দেখতে পারেন: বিদেশিদের জন্য ঢাকা নগরী কেন এত ব্যয়বহুল? যে কারণে চট্টগ্রামে হেপাটাইটিস 'ই' প্রকোপ গাজীপুর সিটি নির্বাচন: অনিয়মের নানা অভিযোগ
সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার মিললেও সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা বদলেছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
নষ্ট মোবাইল থেকে কিছু টাকা পাওয়া গেলে গ্রাহকরা বেশ খুশি হবেন। এটি এমন এক ধরণের জিনিস যা নষ্ট হয়ে গেলেও সহজে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও খারাপ লাগে। তাহলে কী করা যেতে পারে? বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা বলছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন তাদের কাছে জমা দিলে টাকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানিয়েছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিলে যাতে ফোনের মালিক কিছু টাকা পায় - সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মি: মাহবুব বলছেন, একটি মোবাইল ফোন সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায়না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়। "বাংলাদেশের ১০০টি শপিং মল-এ আমাদের বুথ থাকবে, যেখানে নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে টাকা পাওয়া যাবে," মি: মাহবুব বলছেন। আরো পড়ুন: বাতিল মোবাইল ফোন থেকে বাঁচার উপায় কি? প্লাস্টিক বর্জ্য: ২০১৮র সবচেয়ে সাড়া জাগানো পরিসংখ্যান বর্জ্য থেকে যেভাবে আয় করছেন ভারতীয়রা বাতিল বা নষ্ট ফোন সেটগুলো ফেলে দেয়া হলে তা পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। খুব শীঘ্রই এ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মি: মাহবুব। প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচ থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো বাংলাদেশে সেটি চালু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল হ্যান্ড সেট নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ড সেট আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে যে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। মি: মাহবুব বলেন, যারা নষ্ট মোবাইল ফোন দিতে আসবে, তাদের যদি কিছু টাকা না দেয়া হয়, তাহলে বিষয়টিতে মানুষজনের আগ্রহ থাকবে না। তবে কত টাকা দেয়া হবে - সেটি নির্ধারিত হবে মোবাইল ফোনের অবস্থার উপর ভিত্তি করে। নষ্ট মোবাইল দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশে প্রতি বছর বেশ দ্রুততার সাথে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলছেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকর করা গেলে, নষ্ট ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের প্রবণতা গড়ে উঠবে। নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন রি-সাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে। এসব ফোন সেটের বিভিন্ন উপাদান থেকে নানা রকমের জিনিস উৎপাদনের কাজে লাগতে পারে। মি: মাহবুব বলেন, "আমরা সম্পূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজটি করছি। তবে এজন্য সরকার এবং রি-সাইক্লিং শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।" "কারণ, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে মানুষ যদি কিছু টাকা না পায়, তাহলে তারা উৎসাহিত হবে না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষক 'চাকরিটার যোগ্যতা ছিল, কিন্তু টুপি দাড়ির জন্য পাইনি' উষ্ণতা বৃদ্ধিই কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচণ্ড ঠাণ্ডার পেছনের কারণ?
বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফোন সেট ফেরতের বিনিময়ে টাকা দেবার উদ্যোগ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
জরিপে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব কোম্পানির মধ্যে তিব্বত বল সাবান প্রথমে রয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটিং কোম্পানির জরিপে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে যেসব ব্রান্ড শীর্ষস্থান দখল করে আছে তার সবগুলোই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির। জরিপটি চালায় বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা বাজার জরিপ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কান্টার ওয়ার্ল্ড প্যানেল। এতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ দশটি ব্র্যান্ডের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে সানসিল্ক, দ্বিতীয় স্থানে লাক্স এবং তৃতীয় স্থানে রিন। এই তিনটি পণ্যই বাংলাদেশে বাজারজাত করে বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার। বাংলাদেশের নিজস্ব কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিব্বত বল সাবান রয়েছে তালিকার ১০ নম্বরে। তবে শীর্ষ স্থানীয় ৫০টি ব্র্যান্ডের তালিকায় বাংলাদেশের নিজস্ব কোম্পানি রয়েছে ২৫টি। বাংলাদেশের নিজস্ব কোম্পানিগুলোর ব্যবসা এবং প্রসার গত দুই দশকে বাড়লেও ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠেনি। কেন বহুজাতিক বা বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে দেশি কোম্পানিগুলোকে পেছনে ফেলে এতটা এগিয়ে তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন ঢাকার গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাওসুল আজম শাওন। "প্রথমত যে বিদেশি ব্রান্ডগুলো এই জরিপে এগিয়ে আছে তারা ব্রান্ড মার্কেটিং এর চর্চায় যুক্ত বহু বছর ধরে। এটা একটা বড় কারণ। তাই আমাদের বাংলাদেশের যে কোম্পানিগুলো এখন উঠে আসছে, তারা কিন্তু অতি সম্প্রতি এ ধরণের চর্চা শুরু করেছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে, সেটাকে কাটিয়ে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে যেতে হলে অনেক সময় লাগবে, এটা হঠাৎ করে হয় না।" বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম নামের একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক শরিফুল ইসলামও মনে করেন, ব্র্যান্ডিং একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। এর পেছনে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। মি: ইসলাম বলেন, ব্র্যান্ডিং-এর জন্য বিনিয়োগ করলে অতি দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়না। ধীরে-ধীরে বিষয়টি গড়ে উঠে এবং দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে ব্র্যান্ডিং খুব বেশি দিনের কথা নয়। অনেক কোম্পানি এখনো ব্র্যান্ডিং-এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারেনি। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের ব্র্যান্ড গড়ে তোলার পেছনে গবেষণাসহ নানা খাতে লাখ-লাখ ডলার খরচ করে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের বাজার কেন চীনা পণ্যের দখলে? বাংলাদেশ নিয়ে আতঙ্কে পশ্চিমা পোশাক ব্র্যান্ড? শরিফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো অনেক পিছিয়ে আছে বলে মনে মি: ইসলাম। তিনি বলেন, "শুধু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্র্যান্ড তৈরি হয় না। এর পেছনে অনেক কম্পোনেন্ট (উপাদান) আছে। অনেকে মনে করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই ব্র্যান্ড তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আসলে সেটা ঠিক না। তবে বিজ্ঞাপন অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে।" তবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর কাছে এখন ব্র্যান্ডের গুরুত্ব বেড়েছে বলে মি: ইসলাম উল্লেখ করেন। মানুষের সামনে যখন বিভিন্ন ধরনের বিকল্প থাকে, তখন সেখান থেকে মানুষ যে পণ্য বা সেবাটিকে বেছে নেয়, সেটির মাধ্যমে ব্র্যান্ড গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান একটি বড় বিষয় বলে উল্লেখ করেন মি: ইসলাম। তিনি বলেন একটি পণ্য বা সেবা যখন ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠে তখন পেছনে কয়েকটি কারণ থাকে। প্রথমত; পণ্যের মান, দ্বিতীয়ত; দাম, তৃতীয়ত; জীবনের সাথে সে পণ্যের প্রাসঙ্গিকতা কতটা রয়েছে। "আপনি খুব ভালো ক্যাম্পেইন বা ব্র্যান্ডিং দিয়ে খারাপ একটা প্রডাক্টকে বেশি দিন চালাতে পারবেন না। আপনাকে ভালো পণ্য দিতে হবে এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ হতে হবে।" বলছিলেন মি: ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশর নিজস্ব কোম্পানিগুলোর পণ্য এবং সেবার মান আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু এখনো আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে বলে মনে করেন মি: ইসলাম। কোম্পানির মালিকদের দার্শনিক ভিত্তির উপর নির্ভর করে ব্র্যান্ড গড়ে উঠে বলে মনে করেন মি: ইসলাম। শুধু বাজারজাত করণের জন্য টাকা খরচ করলেই ব্র্যান্ড গড়ে উঠবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং এর গাওসুল আজম শাওন মনে করেন, ব্রান্ড নিয়ে দেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। ধীরে ধীরে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছে। খুব তাড়াতাড়ি এর ইম্প্যাক্ট দেখা যাবে বলে আশাবাদী তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'বন্দুকযুদ্ধ' চালিয়ে কি মাদকের বিস্তার থামানো যাবে জিয়াউর রহমানের মৃতদেহের খোঁজ মিলল যেভাবে উৎসবের সময় আমদানি করা সিনেমা চলবে না
বাংলাদেশী পণ্যের নিজস্ব ব্র্যান্ড কতটা তৈরি হচ্ছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
একজন সুস্থ নারী বা পুরুষ তিন মাস পর পর রক্ত দিতে পারবেন। এতোগুলো শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে নিজের রক্ত ও রক্তের উপাদান প্লাজমা দানের মাধ্যমে। এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নামও লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী মি. হ্যারিসন গত ১১ই মে এক হাজার ১৭৩ বারের মতো রক্ত দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানের বয়সসীমা নির্ধারিত থাকায় এটাই ছিল তাঁর সবশেষ রক্তদান। মাত্র ১৪ বছর বয়সে জরুরি অস্ত্রোপচারের কারণে ১৩ লিটার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো মি. হ্যারিসনের। সে যাত্রায় রক্ত পেয়ে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর। এরপর বয়স ১৮ বছর হতেই নিয়মিত রক্তদান করতে শুরু করেন তিনি। রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার। রক্ত দেয়া কেন প্রয়োজন? দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। তবে বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি। এছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশিরভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখ পড়ে। এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। এই অল্প সময়ে চাইলেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কারা রক্ত দিতে পারবেন? চিকিৎসকদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষ চাইলেই নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত দিতে পারেন। রক্ত নেয়ার আগে এর সঠিক পরীক্ষা নীরিক্ষা জরুরি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ড. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ রক্ত দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি। এছাড়া রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রতি ডেসিলিটারে ১৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৪ গ্রাম হওয়া দরকার। রক্তদাতাকে অবশ্যই ভাইরাসজনিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হবে। সাধারণত ৯০ দিন পর পর, অর্থাৎ তিন মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে। রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায়। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ রক্ত থাকে। প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়। এ কারণে রক্ত দিলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। রক্ত দেয়ার পর কী হয়? রক্ত দেয়ার পর কিছুটা মাথা ঘোরাতে পারে। এটা স্বাভাবিক। তবে এ সময় হাঁটাহাঁটি না করে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. সিরাজুল ইসলাম। রক্তদাতা যদি ঘামতে থাকেন এবং অস্থিরতা হয়, তবে তাকে স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়। রক্ত দেয়ার পর লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন ড. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে রক্তের পাশাপাশি ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায় তাই তার ক্ষয়পূরণে আয়রন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কে কাকে রক্ত দিতে পারবে? রক্তের গ্রুপ মোট ৮ ধরণের: এবি পজিটিভ, এবি নেগেটিভ, এ পজিটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজিটিভ, বি নেগেটিভ, এবং ও পজিটিভ, ও নেগেটিভ। জেনে নিন কে কাকে রক্ত দিতে পারবে? রক্ত দেয়ার উপকারিতা: দেশের বিভিন্ন ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিয়মিত রক্ত দেয়ার কিছু উপকার রয়েছে। সেগুলো হলো: ১. এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। ২. নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ৩. বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়। ৪. রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ৫. রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৬. শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়। ৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ৮. রক্তদাতার যদি নিজের কখনো রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়। জরুরি সময়ে রক্তের সন্ধানে আশেপাশের ব্লাডব্যাংকগুলোয় খোঁজ নিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার শতভাগ রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে প্রতিবছরের ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন হয়ে আসছে। মূলত যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করেন তাদের দানের মূল্যায়ন, স্বীকৃতি দিতে সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়। জরুরি সময়ে রক্তের সন্ধানে আশেপাশের ব্লাডব্যাংকগুলোয় খোঁজ নিন।
রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
থানায় গরু নিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল গফ্ফর তিনি তাঁর গৃহপালিত গরু নিয়ে মীরঠের নৌচন্ডী থানায় হাজির হয়েছিলেন। আব্দুল গফ্ফর নামের ওই নেতার বক্তব্য, "যেভাবে গরু পালন মুসলমানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তাই আমি গৃহপালিত এই জীবটিকে নিজের কাছে রাখতে অপারগ। সেজন্য থানায় জমা দিয়ে গেলাম।" মি. গফ্ফর বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে বলছিলেন, "কয়েকদিন আগে কয়েকজন মুসলমান একজন হিন্দু পণ্ডিতের কাছ থেকে দুটো গরু কিনে ফিরছিল। রাস্তায় নিজেদের গোরক্ষক দলের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ওই মুসলমানদের পেটায়, তারপরে থানায় নিয়ে যায়। অনেক রাতে তারা ছাড়া পায়"। তার মতে গোরক্ষকদের এরকম হামলা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে নানা জায়গা থেকে। তাই একজন মুসলমান হয়ে গরু পালন করা বিপজ্জনক বলেই মনে হচ্ছে এখন তার কাছে। দুবছর আগে নিজের দিদির কাছ থেকে ওই গরুটি তিনি উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন। তিনি সেটিকে পালন করেছেন খাঁটি দুধ, ঘি পাওয়া যাবে বলে। "গরুটিকে আমি থানায় জমা করে এসেছি। এবার সেটা কোনও হিন্দু সংগঠন পালন করুক বা গোশালায় দিয়ে দেওয়া হোক। বদলে আমাকে একটা সার্টিফিকেট দিলেই হবে - যাতে মাঝে মাঝে আমি ওকে দেখতে যেতে পারি," জানাচ্ছিলেন মি. গফ্ফর। মীরঠের পুলিশ অবশ্য বলছে, তারা গরুটিকে জমা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা আবার মি. গফ্ফরকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড সহ বেশ বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যে গত তিন বছরে মুসলমান ব্যক্তিদের ওপরে বারে বারেই হামলা হয়েছে গরু নিয়ে যাওয়ার সময়ে অথবা গোমাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে। গণপিটুনিতে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজন মুসলমান ব্যক্তির। রাজস্থানে পহেলু খান নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে গোরক্ষক পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারপরে সেখানকার মুসলমান সমাজের একটা অংশ - যাদের গোপালনটাই পেশা - তারা নিজেদের কাছে রাখা গরু সরকারী গোশালায় জমা দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। মীরঠের পুলিশ অবশ্য বলছে, তারা গরুটিকে জমা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা আবার মি. গফ্ফরকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। গরু পরিবহন করার সময়ে যেসব ঘটনায় মুসলমান ব্যক্তিদের পেটানো হয়েছে, অথবা মেরে ফেলা হয়েছে - প্রায় সব ক্ষেত্রেই কিছু ভুঁইফোড় হিন্দুত্ব বাদী সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। যদিও বিজেপি কখনই ওইসব সংগঠনের সঙ্গে নিজেদের সংস্রব স্বীকার করে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গোরক্ষার নামে হিংসা বন্ধ করতে আর্জি জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয় নি। অন্যদিকে যে সর্বভারতীয় সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে গোরক্ষার কাজ করছে, তারা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে যে কিছু দুষ্কৃতি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এইসব হামলা চালাচ্ছে। ভারতীয় গোরক্ষা দলের প্রধান পওয়ন পণ্ডিত বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কিছুদিন আগে বলছিলেন বি জে পি ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন চার বছরে প্রায় ৫ হাজার নতুন গোশালা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। "গত কয়েক বছরে নতুন যে গোশালাগুলি তৈরি হয়েছে, সেখানে গড়ে ২০০টি করে গরু থাকলে প্রায় দশ লাখ গরুকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বা দুর্ঘটনায় আহত গরুগুলিকেই এইসব নতুন গোশালাগুলিতে রাখা হয়," জানাচ্ছিলেন মি. পণ্ডিত। "তবে যদি খোঁজখবর করা হয়, তাহলে দেখা যাবে এই নতুন গোশালাগুলি তদারকির দায়িত্ব যারা পেয়েছেন, তারা কোনও না কোনও ভাবে আর এস এস বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বি জে পি-র সঙ্গে যুক্ত," অভিযোগ পওয়ান পণ্ডিতের। ওইরকমই একটি গোশালায় থাকা গরুদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে ছত্তিশগড়ের এক বি জে পি নেতা গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
'বিপদ এড়াতে' থানায় গরু জমা রাখলেন ভারতীয় মুসলিম নেতা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
চিড়িয়াখানায় দেখার মতো অনেক জীবজন্তু থাকলেও, এখন মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মাসাহিরো নামের এই মোরগটি একটি মোরগ জাপানের ওসাকায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে-এমন খবর জানতে পেরেছে বিবিসি মনিটরিং। জাপানের ওসাকার একটি চিড়িখানায় ওই মোরগটি তিনবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে এবং তারপর সে 'সৌভাগ্যসূচক পাখি'র উপাধিও পেয়েছে, আর 'সৌভাগ্যবান' করা এই মোরগটিকে দেখতে ভিড় করছে হাজার হাজার মানুষ। এই মোরগটির নাম দেয়া হয়েছে মাসাহিরো, সে এখন ওসাকার স্থানীয় তারকা। এমনকি কিওডো নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে যে গত মাসে তাকে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের অবৈতনিক 'প্রধান' হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শহরের তেনোজি চিড়িয়াখানায় 'মাসাহিরো'কে আনা হয়েছিল ভালুকের খাবার হিসেবে, কিন্তু সেখানকার এতিম হাঁসের ছানাদের সাহায্য করার জন্য তাকে সাময়িকভাবে ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কয়েক মাস পর আবারও মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসে এই মোরগটি। সে সময় একটি বণ্য-বেজীকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল এবং সেটি চিড়িয়াখানার পাখিদের আক্রমণও করছিল। কিন্তু সেই সময়েও প্রাণে বেঁচে যায় মাসাহিরো। এরপর সিংহ ও বাঘের খাবারের জন্যও তাকে ধরতে চাইলে সেই মোরগটি আবারও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। কোন না কোন ঘটনা এই মোরগটিকে বাঁচিয়ে দিচ্ছিল। আর এ ঘটনাগুলো দেখে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলো এই মাসাহিরো নামে মোরগটি আসলে বিশেষ কিছু এবং তাকে চিড়িয়াখানাতেই রাখা হবে। তারপর থেকে 'মাসাহিরো' নামের এই মোরগটিকে দেখতে ভিড় করছে মানুষ, অনেকের ধারণা এই মোরগটিকে ছুঁতে পারলে তাদের জীবনেও এটি সৌভাগ্য বয়ে আনবে। আরও পড়ুন: ‘এক মুসলমান হামলা করছে, আরেক মুসলমান বাঁচাইছে’ ট্রাম্প কি প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিমদের ভোট পাবেন? 'হাকিমপুরী জর্দা'র কাউছ মিয়া শীর্ষ করদাতা নতুন ক্রিকেট তারকা: কে এই মেহেদী হাসান মিরাজ?
জাপানে এক 'মোরগ'কে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মুখে কেক মেখে আনন্দ উদযাপন করছেন একদল তরুণী। (ফাইল ছবি) নয়জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরিচালিত জরিপে তিনি দেখেছেন, কিভাবে প্রতি তিন থেকে ছয়টি কামড়ে গড়ে দশ হাজারের মতো ব্যাকটেরিয়া একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে সংক্রমিত হয়। তিনি বলেছেন, "কল্পনা করুন এবার অনেকে একসাথে ডাবল ডিপিং ক্রিসপ যখন খান তখন কত ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়।" প্রফেসর ডাউসন বলছেন, সস বা এ ধরণের কিছুতে চুবানোর আগে হাত বা আঙ্গুল দিয়ে ধরাটাই একটা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। "তবে এটা নির্ভর করে ওই যিনি খাবারটা ধরছেন তিনি কতটা পরিচ্ছন্ন বা হাইজেনিক এবং এটা বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরণের হয়।" রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল কতটা নিরাপদ? শস্য থেকে জ্বালানি: হুমকিতে পড়বে খাদ্য নিরাপত্তা? জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব একই আইসক্রিম খাওয়া আইসক্রিম ছাড়া ছুটির দিন চলেনা। কিন্তু তারপরেও আইসক্রিম ভাগ করে খাওয়ার একটি দীর্ঘ এবং করুণ ইতিহাসও আছে। ১৫০ বছর আগে যুক্তরাজ্যে একটি ছোট গ্লাসে আইসক্রিম বিক্রি করতো যার নাম ছিলো 'পেনি লিক'। আইসিক্রম খাওয়ার পর ক্রেতারা গ্লাসটি বিক্রেতাকে ফেরত দিতো। পরে তাতে আবার আইসক্রিম ভরে বিক্রেতা অন্য ক্রেতার কাছে বিক্রি করতেন। এ থেকেই যক্ষ্মা আর কলেরা জীবাণু ছড়াতো বলে মনে করা হয়। ১৯৮৯ সালে পরে এর বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে শেয়ারিং আইসিক্রম কি বিপজ্জনক? - এমনকি একই আইসক্রিম থেকে দুটি চামচ ব্যবহার করে খাওয়াটাও বিপদের কারণ হতে পারে। আর দয়া করে কেউ কুকুরের সাথে আইসক্রিম শেয়ার করবেননা। এভাবে আইসক্রিম খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে পপকর্ণ একটি পাত্রে পপকর্ণ নিয়ে অনেকে মিলে খাওয়া একটি নিয়মিত স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু এটি কি খারাপ কিছু? ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, অল্প পরিমাণে হলেও ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে যখন পপকর্ণ ওভাবে হাত দিয়ে নাড়ানো হচ্ছে। বাসা বাড়ির চেয়ে পাবলিক প্লেসে এ শঙ্কা বেশি থাকে। তাই সচেতন হলে ওভাবে শেয়ার করে পপকর্ণ না খাওয়াই ভালো। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিংবা শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এভাবে পপকর্ণও খাওয়া যাবেনা হ্যাপি ব্যাকেটরিয়া টু ইউ প্রফেসর ডাউসন বলছেন, যখন বার্থডে কেক এর ওপর মোমবাতি জ্বালানো হয় তার আগে ওই কেকে ১৪ গুণ বেশি পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যদিও এটা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। আবার কারও যদি সংক্রামক রোগ থাকে, তাহলে সেটাও ঝুঁকির কারণ হতে পারে অন্যদের জন্য। ফ্লোরে পড়া খাবারে 'ফাইভ সেকেণ্ড রুল' ফ্লোরে খাবার পড়লে তাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পাঁচ সেকেণ্ড সময় লাগে। এ কারণে অনেকেই পড়ে যাওয়া খাবার দ্রুত তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি হিলটন বলছেন, এ নিয়মটি কার্যত সঠিক; তবে এটা নির্ভর করে কোন ধরণের খাবার এবং কোথায় সেটি পড়েছে। কাঠের মেঝের চেয়ে কার্পেট এ ধরণের কিছু থেকে ব্যাকটেরিয়া বেশি ছড়াতে পারে। সতর্ক থাকতে হবে বার্থ ডে কেক নিয়েও। আমাদের আসলে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ? অবশ্যই সব ব্যাকটেরিয়াই ক্ষতিকর নয়। কোন ধরণের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হচ্ছে সেটার ওপরও ঝুঁকির মাত্রা নির্ভর করে বলে বলছেন প্রফেসর ডাউসন। তিনি বলছেন, এ ধরণের গবেষণাগুলো খুব বড় নিরাপত্তা ইস্যু নয়, তবে মানুষকে সচেতন করতে পারে।
জন্মদিনের কেক, আইসক্রিম ভাগ করে খাওয়া কতটা নিরাপদ?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইসরায়েলি হামলায় গাযায় জালা টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য, শনিবার, মে ১৫। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আরো বেশি সংঘাত হলে ওই এলাকায় "নিয়ন্ত্রণহীন সংকট" তৈরি হবে। তিনি এমন ভয়ংকর সহিংসতার জরুরী ভিত্তিতে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার ভোরে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস রকেট ছোড়ার পরপরই গাযা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমানে করে ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। জাতিসংঘ হুঁশিয়ার করে বলেছে যে গাযায় জ্বালানি সংকট হতে পারে। যার কারণে হাসপাতাল এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের ডেপুটি স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর লিন হ্যাস্টিং বিবিসিকে বলেন, তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, গাজায় জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে যাতে জাতিসংঘকে অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে কিছু নিরাপদ নয় বলেও তাদের বলা হয়েছে। গাযার কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববারের ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৬ জন নারী ও ১০ শিশুসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েল বলছে, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে দেশটিতে এখনো পর্যন্ত রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১০ জন মারা গেছে। আরো পড়ুন: হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গাযায় এ পর্যন্ত ১৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ৫৫ জন শিশু এবং ৩৩ জন নারী। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ১২৩০ জন। ইসরায়েল বলছে, নিহতদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গি ছিল। রোববার কী ঘটেছিল? রোববার মধ্যরাতের পর পরই গাযার একটি ব্যস্ত সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত তিনটি ভবন ধসে পরে এবং অনেকে নিহত হয়। এর পর প্রায় সারা রাত ধরে এবং বিকেলে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে হামাস। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে হামাস। সাইরেন বাজার সাথে সাথে লাখ লাখ ইসরায়েলি নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। ফিলিস্তিনিরাও সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনবহুল এবং দরিদ্র গাযা উপত্যকার অনেক বাসিন্দার আসলে যাওয়ার মতো তেমন কোন নিরাপদ আশ্রয় ছিল না। রিয়াদ এশকুনতানা নামে একজন ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিনি তার মেয়েদেরকে বাড়ির এমন একটি ঘরে ঘুম পারিয়েছিলেন যেটি বিস্ফোরণের স্থান থেকে সবচেয়ে দূরে বলে তিনি মনে করেছিলেন। তবে ওই রাতের পর তার মেয়েদের মধ্যে শুধু একজন বেঁচেছিলেন। যার নাম ছিল সুজি। তার বয়স মাত্র ৬ বছর। তার স্ত্রী এবং আরো তিন সন্তান মারা যায়। মি. এশকুনতানা বলেন, "মেয়েরা বেঁচে আছে কিনা তা দেখতে ছুটে যাই আমি।" "আমার স্ত্রী লাফিয়ে পড়ে মেয়েদের জড়িয়ে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। আর তখনই ঘরটিতে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে... ছাদ ধসে পরে আর আমি ধ্বংস্তুপের নিচে পরি।" পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করে যে, তারা ওই এলাকায় জঙ্গিদের একটি সুড়ঙ্গকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সুড়ঙ্গটি ধসে পরার কারণে এর উপরে থাকা বাড়িঘরও ধসে পরে। যার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত বেসামরিক প্রাণহানি ঘটে বলে জানায় তারা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি তারা হামাসের নেতা এবং তাদের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (ফাইল ফটো)। ইসরায়েলের বিমান তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তাদের দাবি, তারা হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং তার ভাই মুহাম্মাদ সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই টার্গেটের জায়গাগুলো হামাসের রসদ এবং জনশক্তির মূল উৎস বলে দাবি করে তারা। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি'র এর তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময় তারা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন না। গাযার উদ্ধার কর্মীরা হামলার পর ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে দিনভর চেষ্টা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে ডা. আয়মান আবু আল-আউফ নামে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। তিনি শিয়া হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং করোনাভাইরাস টিমের সদস্য ছিলেন। গাজা উপত্যকায় শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি শিশু অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ইসরায়েলে হামাসের ছোড়া রকেট মধ্য এবং দক্ষিণ ইসরায়েলের আশকেলন, আশদদ, নেটিভটসহ অন্যান্য এলাকায় আঘাত হানে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, গত সপ্তাহে তাদের এলাকাকে লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি রকেট হামলার ঘটনা দেখেছেন তারা। দেশটির আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব রকেটের অনেক গুলোকেই প্রতিহত করেছে। তবে এদের মধ্যে কয়েকটি গাড়ি এবং ভবনে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে সন্ধ্যায় ইহুদিদের ছুটির দিন (শাভুয়াটের দিন) সন্ধ্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগমুহুর্তে আশকেলনে ইয়াদ মাইকেল সিনাগগের দেয়াল রকেটের কারণে ফুটো হয়ে যায়। টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্য মতে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। স্থানীয়রা খুব দ্রুত ওই স্থান থেকে সরে যায় যাতে ক্ষয়ক্ষতি সরিয়ে দ্রুত অনুষ্ঠান শুরু করা যায়। জাতিসংঘের বৈঠকে কী ঘটেছিল? সম্প্রতি জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসলেও আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতিতে সম্মত হতে পারেনি এবং বৈঠকের পর কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেনি। দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস সংঘাত আরও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি কারণ তারা মনে করছে যে এটি দুই দেশের কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। রোববারের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, "সব পক্ষ যদি অস্ত্র-বিরতি চায়" তাহলে তাতে সমর্থনে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সংঘাত নিরসনে তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি একটি শরণার্থী শিবিরে শনিবারের হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হওয়া এবং ৫ মাস বয়সী একটি মাত্র শিশুর বেঁচে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "ইসরায়েল সবসময় আমাদেরকে বলে যে আমরা যাতে তাদের জুতোয় পা রেখে দেখি, কিন্তু তারা তো কোন জুতো পরেনি, তারা মিলিটারি বুট পরে রেখেছে।" এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান, হামাসের হাতে নিহত ১০ বছর বয়সী এক আরব-ইসরায়েলি মেয়ে শিশুর ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে দাবি করেন যে, ইসরায়েল "সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো ভেঙ্গে এবং বেসামরিক প্রাণহানি না করে" তারা আসলে "বীরোচিত" কাজ করছে। মি. এরদান নিরাপত্তা কাউন্সিলকে কঠোর ভাষায় হামাসের নিন্দা করার আহ্বান জানান। তবে ইসরায়েল হুঁশিয়ার করে বলেছে, নিজেদের সুরক্ষায় তারা সব ধরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট: গাযার কর্মকর্তাদের মতে রোববার ছিল সবচেয়ে বেশি 'প্রাণঘাতী দিন'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন দফা ক্ষমতায়। বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড রওনক জাহান বিবিসিকে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ শক্তি সঞ্চয় করেছিল প্রধানত: ক্ষমতার বাইরে থেকে। স্বাধীনতার পর দল মাত্র কয়েক বছর ক্ষমতায় ছিল। তারপর নব্বই দশকে চার বছর। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন দফায় ক্ষমতা ভোগ করছে এই দল। ড. জাহান বলছেন, "আমাদের মত দেশে কোনো দল যখন বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তখন নেতা-কর্মীরা সুযোগ সুবিধা নেয়, ক্ষমতার ব্যবহার যেমন হয়, অপব্যবহারও হয়... এই বিষয়টি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, দল কীভাবে শক্তিশালী থাকতে পারবে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ভাবতে হবে।" রওনক জাহান মনে করেন, ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নীতি-আচরণেও পরিবর্তন এনেছে।। "এখনও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সমাজতন্ত্রের কথা রয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন যে সংখ্যায় বড় বড় ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা দেখা যায় - তা ১৯৭০ এর দশকে বা ৮০ দশকেও ছিল না। আমরা যাদের রুলিং ক্লাস বলি, এরা কখনই তেমন আওয়ামী লীগের সাথে ছিল না। এ ধরনের লোক এখন আওয়ামী লীগে ঢুকছে।" ড. জাহান মনে করেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের সময় যতটা বাড়ছে, দলের অর্থনৈতিক নীতি বদলাচ্ছে, এবং সেই সাথে দলের মধ্যে ব্যবসায়ী মহলের প্রভাব বাড়ছে। "আওয়ামী লীগ এখন শুধু উন্নয়নের কথা বলে, বাজার অর্থনীতির কথা বলে, কিন্তু একসময় তারা মানুষের অধিকারের কথা বলতো, দুঃখী মানুষের কথা বলতো।" আওয়ামী লীগকে এখন দল ও সরকারের মধ্যে তফাৎ তৈরি করতে হবে - ড রওনক জাহান রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি? ড. জাহান মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে এখন দল ও সরকারের মধ্যে তফাৎ তৈরি করতে হবে। "টাকা-পয়সা, পেশী শক্তি থেকে দলকে বেরিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি সরকারের বাইরেও দল হিসাবে বেঁচে থাকতে চায়, কর্মীদের আদর্শ বা অন্য ধরনের কর্মকাণ্ড - সেগুলোর মাধ্যমে দলকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সুযোগ-সুবিধা নেওয়াই যদি নেতা-কর্মীদের প্রধান লক্ষ্য হয়, তাহলে এই দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।" ক্ষমতায় থেকে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে যে দুটো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করেছে, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। এটা কি আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? দলের ৭০তম বার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের কবরে ফুল দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ-উল আলম লেনিন এই নির্বাচনী বিতর্কের জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে দায়ী করেন। "২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই দুর্বল করে দেয়।" "এছাড়া ২০০৪ সালে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের যে ভূমিকা - তা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রকে সঙ্কুচিত করেছে, তখন অনেক সময় উন্নয়ন এবং জনজীবনকে নিরাপদ করার জন্য রাষ্ট্র এমন কিছু ব্যবস্থা নেয় - যা হয়তো কিছুটা সাংঘর্ষিক।" ড. রওনক জাহান মনে করেন, টাকাপয়সা এবং পেশীশক্তি থেকে দলকে বের করে আনা আওয়ামী লীগের সামনে এখন মুখ্য চ্যালেঞ্জ। তবে নুহ-উল আলম লেনিন বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাই দলের সামনে প্রধান কাজ। শেখ হাসিনা একথা বলেছেন, এবং মানুষের মনে এটা প্রশ্ন আছে যে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। শেখ হাসিনা গত নির্বাচনের সময় বলেছেন, এ ব্যাপারে 'জিরো টলারেন্স' দেখানো হবে। আমি মনে করি এটা একটা চ্যালেঞ্জ - দুর্নীতিমুক্ত এবং সহিষ্ণু সমাজ গড়ে তোলা।"
আওয়ামী লীগের ৭০ বছর: দীর্ঘ ক্ষমতা কি আওয়ামী লীগকে বদলে দিচ্ছে?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ইউনিসেফ বলছে ২০১৭ সালের ২৫শে অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যত রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে তার ৬০% শিশু সংস্থার এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, দু'বছরেরও বেশি আগে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ৫ লাখ শিশুই এখনও ক্লাসরুম পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। ১৬ই ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক শরণার্থী ফোরামের আগে এই বিবৃতি দিল সংস্থাটি। রোহিঙ্গা শিশুদের যেহেতু খুব শীঘ্রই নিজেদের দেশে ফিরতে পারার সম্ভাবনা নেই, তাই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই তাদের শিক্ষার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি। সাদ হাম্মাদি বলেন, "কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা শিশুরা একটা হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মে যেন পরিণত না হয়। সেখানে শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত হয়ে এই শিশুরা ধীরে ধীরে নিজেদের ভবিষ্যত হারিয়ে যেতে দেখবে, এমনটা চলতে দেয়া যায় না।'' ''কক্সবাজারে প্রত্যেক শিশু, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং স্বাগতিক বাংলাদেশেরও প্রত্যেক শিশু যাতে শিক্ষার সুযোগ পায়, তার জন্য বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের দায়িত্ব পালনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে এবং এই দায়িত্ব তাদের ভাগ করে নিতে হবে,'' বলেন মি. হাম্মাদি। অ্যামনেস্টি বলছে, রোহিঙ্গারা যেদেশেই থাকুক না কেন সে দেশের অর্থনীতিতে যাতে তারা অবদান রাখতে পারে এবং এর পাশাপাশি নিজেদের অধিকার দাবি করতে পারার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তার জন্য রোহিঙ্গা শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ করে দেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর অক্টোবর মাসে ইন্টার সেকশন কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের চালানো এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে কক্সবাজারে জরিপ চালানো ১,৩১১টি পরিবারের এক তৃতীয়াংশেই অন্তত একজন প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্কুলগামী বয়সের শিশু রয়েছে, যে স্কুলে যায় না। কিভাবে হারিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুদের শৈশব? বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ নিয়ে দ্য হেগে বাংলাদেশ দল কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের বাইরে বেশ কয়েকটি মাদ্রাস রয়েছে, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয় "শরণার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ওপর যেসব বিধিনিষেধ বর্তমানে রয়েছে তা উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নিজেদের পদক্ষেপ শুরু করতে পারে", মন্তব্য করেন সাদ হাম্মাদি। এমাসের শুরুতে ক্যাম্পের বাইরের স্কুলে রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখা করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয় ওয়াশিংটন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকেও। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থাকে বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তারা। ক্যাম্পে শিক্ষাগ্রহণের কী ব্যবস্থা রয়েছে? সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে কোনো স্কুল-কলেজে পড়তে পারবে না। কারণ তাদের সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি নেই। ২০১৬ সালের পর থেকে এ নিয়মটি বেশ কঠোরভাবে মানা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিবিসি'কে জানান নতুন ক্যাম্পগুলোতে ইতিমধ্যেই এক হাজার স্কুল পরিচালিত হচ্ছে এবং আরেকটি প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০০ স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা হবে শীঘ্রই। এছাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে জাতিসংঘ ও বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল ও মাদ্রাসা ছাড়াও কুতুপালং ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে দু'টি সরকারি স্কুল রয়েছে যেখানে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিপুল শিশু-কিশোরদের সঠিক শিক্ষা দেয়া না গেলে, ভবিষ্যতে সামাজিকভাবে সমস্যা তৈরি হতে পারে তবে প্রাথমিক পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ যেন শেষ না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা চলছে বলে সেপ্টেম্বরে বিবিসি'কে জানিয়েছিলেন দাতব্য সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেনের শিক্ষা বিষয়ক এক কর্মকর্তা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে পাঁচ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুকিশোর রয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজারের বেশি। আর ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা সোয়া এক লাখ।
রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই বহন করতে হবে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
৭০ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়, পাকিস্তানে কখনও আপাতদৃশ্যের গণতন্ত্র এসেছে। আবার পালাবদল করে এসেছে পুরোপুরি সামরিক সরকার। এই দুই ধরণের ব্যবস্থা যেন বারবার পালাবদল করেছে। আর এই প্রক্রিয়ার মাঝে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাকিস্তানের সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দ্বন্দ্ব এবং পাকিস্তান হয়ে উঠেছে জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল। এবারের নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে কেউ কেউ 'গণতান্ত্রিক অভ্যূত্থানের' ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে পীররা প্রভাবিত করেন পাকিস্তানের নির্বাচন পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন সর্ম্পকে যা জানা জরুরী পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে যে পাঁচটি তথ্য জানা দরকার সেজন্য বরাবরের মতো এবারও সন্দেহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে। অতীতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরাসরি অভ্যূত্থান ঘটিয়েছে, আর তা নাহলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় এমন কৌশল নিয়েছে, যেন সেই সরকার আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে। এসব বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার বন্ধ হয়েছিল ২০০৮ সালে।সে কারণে পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার ২০১৩ সালে তাদের মেয়াদ শেষ করতে পেরেছিল। তখন থেকেই আবার পাকিস্তানের গণতন্ত্রের স্রোত উল্টোদিকে বইতে শুরু করেছে। সমালোচকরা বলছেন, সামরিক প্রশাসন অতীতের মতো এখন আবার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পেতে পুরোনো কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। ১৯৪৭ থেকে সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে পাকিস্তানে সন্দেহের পিছনে তিনটি কারণ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সন্দেহের কেন্দ্রে এসেছে, সেজন্য তিনটি ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে বলা হচ্ছে। প্রথমত, আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফসহ বেছে বেছে বিদায়ী সরকারের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছে। আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, পাকিস্তানে বিচার বিভাগ বিভিন্ন আইন ব্যবহার করে বিদায়ী সরকারের ডানা কেটে দিয়ে বিরোধী পক্ষগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শওকত আজিজ সিদ্দিকীর বক্তব্যেও বিষয়গুলো উঠে এসেছে। গত রোববার রাওয়ালপিন্ডি বার এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিদ্দিকী বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। নওয়াজ শরিফকে যেন মুক্তি দেয়া না হয়, সেজন্য সংস্থাটি চাপ সৃষ্টি করে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন নওয়াজ শরিফ।নিম্ন আদালত তাঁকে দশ বছরের সাজা দিয়েছেন।কিছুদিন আগে তিনি দেশে ফিরে জেলে গেছেন। এদিকে, বিচারপতি সিদ্দিকী এমন বক্তব্যও দিয়েছেন যে, তিনি আইএসআই এর বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে ভয় পাননা। তিনি বলেছেন, "আমাকে যদি মেরে ফেলতেও চায়, তারপরও আমি ভয় পাই না।" দ্বিতীয়ত, এবার নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ জঙ্গীদের কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছে। তৃতীয়ত, ভোটের প্রক্রিয়ায় বা তা পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরীফ, ইমরান খান এবং বিলাওয়াল ভট্টো। এসবের কিছু কিছু আলামত ইতিমধ্যেই দেখা গেছে। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগের অনেক প্রার্থীকে দল ছেড়ে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগ দিতে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা দল ছাড়ার টোপে রাজি হননি, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বা তাদের হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও চাপে রয়েছে।দলটির সিনিয়র কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ নতুন করে তোলা হয়েছে। বামপন্থী আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রার্থী গত সপ্তাহে পেশোয়ারে আত্নঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন।একই ধরণের হামলায় আরও দু'জন প্রার্থী নিহত হয়। বেলুচিস্তানে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী একজন প্রার্থি গিজেন মারিকে গৃহবন্দি হিসেবে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু পাশের নির্বাচনী এলাকাতেই জঙ্গী সম্পৃক্ততা আছে, এমন একজন প্রার্থী শফিক মেঙ্গাল নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তার মতো নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোর অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গণমাধ্যমও অজানা কর্তৃপক্ষ থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে। নির্বাচনের বাছাই করা কিছু খবর প্রচারে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল কোনো একটি দলের পক্ষে যাবে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাতে প্রভাব খাটানো সুযোগ থাকে। এমন পরিস্থিতি তৈরির পিছনেও সামরিক বাহিনীর কৌশল রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এই প্রেক্ষাপটে নিরঙ্কুশ গণতন্ত্র আসলে অনেক দূরে বলেই বলা হচ্ছে। আসলে গণতন্ত্রের আড়ালে সামরিক শক্তির অধীনে একটা শাসন ব্যবস্থা বা একটা অভ্যূত্থান হচ্ছে- এই ভয় কাজ করছে বিশ্লেষকদের মাঝে। আরো পড়ুন: পাকিস্তানে নারী ভোটারদের সংখ্যা এত কম কেন? চুম্বনের ভাইরাল সেই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলাদেশে ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্য করে নেপালি মন্ত্রীর পদত্যাগ
পাকিস্তানে নির্বাচন তারপরও অভ্যূত্থানের ভয়
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ঢাকায় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ। অপরদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মূল লক্ষ্য 'ম্যাচ-বাই-ম্যাচ' ভেবে সেমিফাইনালের পথে হাঁটা। এই দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে, শনিবার, ৮ই জুন। ইংল্যান্ডে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই খেলা। ইতিহাস কী বলছে? কার্ডিফ মানেই বাংলাদেশের জয়, এটা এখন লেখাই যায়। তবে ম্যাচের সংখ্যা নিতান্তই কম। কিন্তু গুরুত্ব অনেক বেশি। ২০০৫ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে কার্ডিফের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ কার্ডিফে বাংলাদেশের জয়ের হার শতভাগ। দুই ম্যাচে দুই জয়। দুটি জয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। এগিয়ে বাংলাদেশ কার্ডিফে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দুই দলের চতুর্থ ম্যাচ। এর আগে তিনবার দেখা হয় দুই দলের। যার মধ্যে দু'বার জয় বাংলাদেশের, একবার ইংল্যান্ডের। ঢাকায় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের একটি ম্যাচ। আরো পড়তে পারেন: সামরিক প্রতীকের গ্লাভস পরেই খেলবেন ধোনি: ভারত 'ইংলিশ হলেও বাংলাদেশের হয়ে তাঁদের হারাতে চাই' ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে চার উইকেটে হারায়। ২০১১ সালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারায় দুই উইকেটে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ১৫ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড জিতেছে সমান সমান - দুই দলেরই তিনটি করে জয়। ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপ লিয়াম প্লাঙ্কেট কিংবা জোফরা আর্চার, এরা সবাই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন। জোফরা আর্চার বিশ্বক্রিকেটে হঠাৎ উদয় হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ। ২০১৭ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেন তিনি, ৯ ম্যাচে ১০ উইকেট নেন আর্চার। এছাড়া মইন আলী বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাউন্টি দলের টিমমেট ছিলেন। কার্ডিফের উইকেট যদি তার স্বাভাবিক আচরণ করে - তাহলে এই উইকেটে স্পিন ধরবে। একমাত্র ইংলিশ কোচ বাংলাদেশের বিশ্বকাপে ১০ দলের মধ্যে তিনিই একমাত্র ইংলিশ হেড কোচ। আবার কোচ হিসেবেও এটাই তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। আর সেটাও ইংল্যান্ডের মাটিতেই। 'এটা ভীষণ গর্বের। খুবই উত্তেজনাকর। আর এ কারণেই আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।' কিন্তু ৮ জুন কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেকে কি করে শান্ত রাখবেন তিনি? 'ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার অনুভূতি আমি এখনো জানি না। তারা হট ফেভারিট। আর আমি আন্ডারডগ থাকতেই পছন্দ করি। হারানোর কিছু নেই। আবার যদি জিতে যাই তাহলে সেটা বড় দলের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনতাই করে নেয়ার মতো ব্যাপার।' 'দেখুন আমি আপাদমস্তক ইংলিশ হলেও বাংলাদেশের হয়ে তাদের হারাতে চাইবো।' ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: বাংলাদেশ দলকে যেভাবে প্রস্তুত করছেন কোচ স্টিভ রোডস আরো পড়তে পারেন: কে এই মুসলিমবিরোধী 'বৌদ্ধ বিন লাদেন'? ঢাকার রাস্তায় নারী সাইক্লিস্টের সংখ্যা কম কেন? পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' আরো ৩ রোহিঙ্গা নিহত
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: যেখানে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সৌরমণ্ডল কীভাবে গঠিত হয়েছিল তার রহস্য সম্ভবত লুকিয়ে আছে বেন্নু নামে এই গ্রহাণুতে। তাই এর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৌরমণ্ডল কীভাবে গঠিত হয়েছিল তার রহস্য জানার জন্য এই গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাসার মহাকাশযান অসিরিক্স-রেক্সএর কর্মকর্তারা বলছেন নভোযানটি বেন্নু নামে গ্রহাণুতে অবতরণ করে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে। যানটি প্রস্তরখণ্ড সংগ্রহের কাজ সম্ভবত খুবই ভালভাবে সম্পন্ন করেছিল। তারা বলছেন নভোযানটি যেসব ছবি পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি পাথরখণ্ডের বেরিয়ে থাকার কারণে নমুনা সংগ্রহের একটি আধারের দরোজা সামান্য ফাঁক হয়ে আছে এবং সেখান থেকে নমুনার অংশ ছিটকে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। মিশন টিম জানাচ্ছে, যে যন্ত্র দিয়ে পাথরের খণ্ডগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল, হয়ত পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ায় কিছু প্রস্তরখণ্ড সেই যন্ত্রের ঢাকনার মাঝখানে সম্ভবত আটকে পড়েছে। এর ফলে প্রস্তরখণ্ডগুলো যন্ত্র থেকে আবার মহাকাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন, এসব প্রস্তরখণ্ডগুলো নিরাপদে একটি ক্যাপসুলে ঢোকানো যায় কি না। ''যেসব পাথরখণ্ডের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার একটা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশই বেরিয়ে যাচ্ছে,'' বলেছেন মিশনের প্রধান ডান্তে লওরেত্তা। তিনি জানাচ্ছেন নভোযানটি আনুমানিক প্রায় ৪০০ গ্রাম ওজনের পাথরের খণ্ড সংগ্রহ করেছিল বলে তারা মনে করছেন। মহাকাশযানটি এর থেকে বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারতো না, তিনি বলেন। "প্রস্তুরখণ্ডগুলোর টুকরো ভেতর থেকে যে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি দারুণ উদ্বিগ্ন। কারণ আমরা এখানে নিজেদের সাফল্যের বলি হয়ে গেছি।" ''সময় এখন মহার্ঘ,'' সাংবাদিকদের বলেছেন নাসার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রশাসক, টমাস জারবুশেন। নাসা এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছে ভেতরে যতটুকু রয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায়, সেগুলোর বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে তারা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। অসিরিক্স-রেক্স মিশনের ২০২৩ সালে এসব প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীতে নিয়ে আসার কথা। আরও পড়তে পারেন: নাসার তোলা সূর্যের এক দশকের যাত্রার ছবি যে আধারের মধ্যে পাথরের টুকরোগুলো সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে সেটি নভোযানের ভেতরে নিরাপদে ঢোকানোর চেষ্টা করা হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মহাকাশযানটি ঠিক কী পরিমাণ পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল, এর ফলে তা আর সঠিকভাবে জানা সম্ভব হবে না। ''আমাদের সংগ্রহ ক্যাপসুলটাকে দ্রুত নিরাপদে ভেতরে ঢোকানোর জন্য কাজ করতে হচ্ছে বটে, কিন্তু সেটা যদি আমরা খুব তাড়াতাড়ি করতে পারি তাহলেও আমাদের হাতে যথেষ্ট নমুনা এসে পৌঁছবে,'' বলছেন মি. জারবুশেন। "আমরা খুবই উদ্দীপ্ত, কারণ এই পাথরগুলো আমরা মনে করছি বিজ্ঞানীদের হাতে ঐতিহাসিক মুহূর্তের চাবি এনে দেবে।'' বেন্নু গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ কোটি মাইল দূরে এবং অসিরক্স-রেক্স মঙ্গলবার বেন্নুর বুকে নামে। গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় প্রচুর ধুলা ও পাথরের টুকরো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। ''আমরা আসলেই সেখানে একটা ঝড় তৈরি করেছিলমা,'' মঙ্গলবার অবতরণের পর জানান মি. ডান্তে লওরেত্তা। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে সৌরমণ্ডল কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সে বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন। ২০২৩এ নভোযানটি পৃথিবীতে ফিরে আসার পর পাথরের নমুনাগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য অধীর আগ্রহে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষা করছেন। বেন্নু গ্রহাণুর পাথরের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সৌরমণ্ডল গঠনের অজানা রহস্য। এই নভোযানটি নাসা পাঠিয়েছিল ২০১৬ সালে। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সাথে বেন্নু গ্রহাণুর আকারের তুলনা
নাসার মহাকাশযানের দরোজা আটকে অসিরিক্স-রেক্স গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা মূল্যবান নমুনা হারিয়ে যাবার বড় ঝুঁকি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে তাকেসহ অন্যদের আটক করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম রাতে বিবিসিকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে তাদেরকে কী কারণে আটক করা হয়েছিল এবং পরে কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো- এসব বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মো: ওয়ালিদ হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, "পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার জন্য তাকেসহ অন্যদের আটক করা হয়েছে।" তিনি জানিয়েছেন, নুরুল হক নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করেছেন। সেই মামলার বিরুদ্ধে শাহবাগে বিক্ষোভ করছিলেন নুরুল হক নুর ও সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে তার সংগঠনের সদস্যরা। সেই বিক্ষোভ চলার সময় তাদের আটক করা হয়। ধর্ষণের মামলা এবং তাদেরকে আটক করার বিষয়ে সাধারণ ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আটকের পর ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে পুলিশ। সেখানে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ থেকে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেজন্যে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আটক করে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগের প্রার্থীকে হারিয়ে নুরুল হক নূর ভিপি নির্বাচিত হন। তার পর থেকেই তিনি সরকারের কঠের সমালোচনা করে আসছেন। ভিপি হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নুরুল হক নূর কয়েক দফায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন। আরো পড়ুন: নূরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের 'অস্বস্তি' কোথায়? এডিটার'স মেইলবক্স: ছাত্র রাজনীতি আর ঢাবি-র মান নিয়ে বিতর্ক
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্ত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ইন্টারনেট-ভিত্তিক মাধ্যমগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে বেশ দ্রুত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউটিউব এবং ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের নতুন বাজার দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলো অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের প্রচার এবং প্রসারের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শ্রেয়া সর্বজায়া বলছেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বাজার ধীরে-ধীরে বড় হচ্ছে। শ্রেয়া সর্বজায়া বলেন, " গ্লোবালি আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটা শিফট হচ্ছে। বাংলাদেশেও সেদিকে যাচ্ছে। সবাই পছন্দ করছে নিজেই নিজের মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে ব্যবহার করতে।" বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনের বাজার টাকার অংকে কতটা বড় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন হিসেব নেই। এমনকি সরকারের কাছে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বলছে এ বাজার প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। শ্রেয়া সর্বজায়া বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতিবছর কত টাকা ব্যয় করে সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য দিতে চায় না। এ নিয়ে কোম্পানীগুলোর মাঝে এক ধরনের গোপনীয়তার প্রবণতা দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরিন আক্তার বলছেন বর্তমানে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। অধ্যাপক আক্তারের বর্ণনায় এখন সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন অনেক বিজ্ঞাপন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে এবং পরে টেলিভিশন প্রচার হয়। ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের ফিডব্যাক দেখে ক্লায়েন্ট সিদ্ধান্ত নেয় সে বিজ্ঞাপন কতবার কোন মিডিয়াতে প্রচার হবে। এমনটাই বলেছেন তিনি। বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানি এরই মধ্যে বিজ্ঞাপনের জন্য ডিজিটাল বিভাগ খুলেছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন যারা দেয়, তাদের মধ্যে টেলিকম খাত অন্যতম। টেলিকম খাতের একটি সূত্র জানিয়েছে প্রতিবছর তাদের সর্বমোট বিজ্ঞাপন বাজেটের ৭০ শতাংশ এখন ডিজিটাল খাতে ব্যয় করা হয়। নাসরিন আক্তার, অধ্যাপক, মার্কেট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ পাঁচ বছর আগে এটি উল্টো চিত্র ছিল। তবে সবক্ষেত্রে একই চিত্র নয়। বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সামগ্রী প্রস্তুতকারী কিংবা অন্যান্য খাতের কোপানীগুলো এখন ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিজিটাল খাতে বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই-এর বার্তা বিভাগের প্রধান শাইখ সিরাজ মনে করেন বিজ্ঞাপনের বাজারে টেলিভিশনের জন্য ধীরে-ধীরে শক্ত প্রতিযোগী হয়ে উঠছে ডিজিটাল মাধ্যম। শাইখ সিরাজ বলছেন, টেলিভিশন থেকে দর্শকরা এখন ধীরে-ধীরে ডিজিটাল মাধ্যমের দিকে যাচ্ছে। " আমাকে আগে লোকে বলতো টেলিভিশনে দেখলাম আপনার প্রতিবেদন। এখন বলে ফেসবুক-ইউটিউবে দেখেছি। তাতে বোঝা যায় কিছু একটা শেয়ার তো ওদিকে যাচ্ছে," বলেন মি: সিরাজ। কিন্তু সেজন্য টেলিভিশন পুরোপুরি হারিয়ে যাবে না বলে মনে করেন তিনি। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো বলছে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। কিন্তু টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন এখনো একই অবস্থায় আছে। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কথা বলে জানা যায় এমন অনেক বিজ্ঞাপন আছে যেগুলো শুধু টেলিভিশনের জন্যই উপযোগী। কারণ সেসব বিজ্ঞাপন যাদের টার্গেট করে দেয়া হয় তাদের বেশিরভাগই টেলিভিশনের দর্শক। শাইখ সিরাজ তাছাড়া খেলাধুলা, খবর এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতারা এখনো মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনকেই বেছে নিচ্ছেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন নিয়ে যে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের মধ্যে ওগিলভি এন্ড ম্যাথারস এর কর্ণধার ফাহিমা চৌধুরী কেয়া বলছেন বাংলাদেশে এখনো টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পাশাপাশি চলছে। একটির কারণে আরেকটির উপর কোন প্রভাব এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে খুব দ্রুত এ পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ফাহিমা চৌধুরী বলেন বাংলাদেশে এখনো টেলিভিশনের দর্শক সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে বর্তমান বিজ্ঞাপন বাজারের চার থেকে পাঁচ শতাংশ ডিজিটাল খাতে যাচ্ছে বলে ফাহিমা চৌধুরীর ধারণা। তবে আগামী তিন বছরের মধ্যে বিজ্ঞাপন বাজারের ২৫ শতাংশ ডিজিটাল খাতে যাবে বলে তারা ধারণা করছেন। বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই যাচ্ছে গুগল এবং ফেসবুকে। ইউটিউবেও বিজ্ঞাপনের হার বাড়ছে। ইন্টারনেট-ভিত্তিক যেসব ব্যবসা রয়েছে সেগুলো বিজ্ঞাপনের জন্য ইন্টারনেট মাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশে বাজেট উপস্থাপনের আগে সংবাদপত্র শিল্পের মালিকরা দাবি করেছেন বাংলাদেশ থেকে যারা ফেসবুক-ইউটিউব এবং গুগলে বিজ্ঞাপন দিবে সেগুলো করের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সে বিষয়ে একমত হয়ে কর আরোপের ঘোষণাও দিয়েছে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে সেটি আদায় করতে হবে তা এখনো ঠিক করতে পারেনি সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন সে পদ্ধতি খোঁজা হচ্ছে। এদিকে বড় বিজ্ঞাপনদাতা কয়েকটি কোম্পানি জানিয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিলে সেটি কত মানুষের কাছে পৌঁছল সেটি সহজেই পরিমাপ করা যায়, যেটি সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব নয়। তবে আপাতত আরো কয়েক বছর ডিজিটাল এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপন পাশাপাশি চলবে বলেই মনে করেন বিজ্ঞাপন বাজারের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন বাজার: ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনা কতটা?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
চীনের ইউহান শহরে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে চীনের কর্তৃপক্ষ গত দুইদিনে ১৩৯ জন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। গত ডিসেম্বরে উহান শহরে প্রথম যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাকে করোনাভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিল। গত সপ্তাহেই সিঙ্গাপুর, হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলস এবং নিউইয়র্কে চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল। এবার বাংলাদেশেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও স্ক্রিনিং শুরু করার কথা জানানো হল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। উহানের পর চীনের নতুন নতুন শহরেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে আছে বেইজিং এবং শেনঝেন শহরের বাসিন্দারাও। এদিকে, থাইল্যান্ড এবং জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া আজ (সোমবার) জানাচ্ছে সেখানেও এই একই ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছে অন্ততঃ তিন জন। বাংলাদেশে সর্তকতা: ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর বলছে, তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে, কারণ চীন থেকে আসা সব বিমান এই বিমানবন্দর দিয়েই ওঠানামা করে। এছাড়া অন্যান্য বন্দরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডাঃ সেবরিনা বলেন, স্বাস্থ্য-কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিমান বন্দরে স্থাপিত হেলথ ডেস্কে এসব কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "যারা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা- জ্বর,কাশি,গলাবাথ্যা এসব নিয়ে আসছেন তাদের চেক করা হচ্ছে"। নতুন সনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসের আগে আরো ছয় ধরণের করোনাভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে যা মানুষকে আক্রান্ত করে আইইডিসিআর চারটি হটলাইনও খুলেছে। তারা বলছে, উল্লেখিত লক্ষ্মণগুলো কারো মধ্যে দেখা গেলে এসব হটলাইনে ফোন করে জানাোর জন্য। নম্বরগুলো হচ্ছে: আইইডিসিআর বলছে, কারো শরীরে এর কোন লক্ষণ দেখা গেলে তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, এয়ারলাইন্সগুলো এবং এভিয়েশনে কাজ করা সবাইকে সচেতনও করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিমানবন্দরে যে এলইডি মনিটর রয়েছে সেখানে রোগের লক্ষণগুলো জানানো হচ্ছে এবং এবং কারো যদি এই লক্ষণগুলো থাকে তার হেলথ ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। সংক্রমণ সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চীনের কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই সংক্রমণ যে ভাইরাসের কারণে হচ্ছে সেটি আসলে এক ধরণের করোনাভাইরাস। গবেষকরা বলছেন সামুদ্রিক মাছের বাজার এই ভাইরাসের উতসস্থল অনেক ধরণের করোনাভাইরাস রয়েছে, কিন্তু শুধু ছয় ধরণের ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। নতুন ভাইরাস-সহ এটি হবে সপ্তম। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা দেয় সাধারণ সর্দি, কিন্তু মারাত্মক ধরণের সংক্রমণ বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে সার্স হচ্ছে এক ধরণের করোনাভাইরাস। যাতে ২০০২ সালে ৮০৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং এদের মধ্যে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল। ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য (জেনেটিক কোড) বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষকে আক্রান্ত করা অন্য করোনাভাইরাসের তুলনায় সার্সের সাথে এটির বেশি মিল রয়েছে। ভাইরাসটা কি ছোঁয়াচে? প্রাথমিকভাবে গবেষকরা বলেছিলেন যারা চীনের ইউহান শহরে মাছের বাজারে গিয়েছিলেন তারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু এমন কয়েকজন রোগী পাওয়া গেছে যারা কোন মাছের বাজার বা বাজারেই যাননি। অবশ্য এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনো খুব বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ডা. সেবরিনা ফ্লোরা বলছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তারা আশঙ্কা করছে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে তবে এখনো এত বৃহৎ পরিসরে ভাবছে না সংস্থাটি। এবং ভাইরাসটা ছোঁয়াচে কিনা সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। তিনি বলছিলেন "যখন শ্বাসতন্ত্রের অসুখ হয় তখন হাঁচি, কাশি থেকে আরেক জন সংক্রমিত হতে পারে এটা ভেবে নিয়েই আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ যদি একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায় তাহলে অতি দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড চার সপ্তাহের জামিন পেলেন প্রথম আলো সম্পাদক রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ ছাড়া উপায় ছিল না: প্রিন্স হ্যারি
করোনাভাইরাস: চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, বাংলাদেশে বিমান বন্দরে সতর্কতা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি, পেছনে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ ওই ব্যক্তির রিভলভার থেকে চালানো গুলি একজন ছাত্রের হাতেও লেগেছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়ার ক্যাম্পাসের ঠিক বাইরে রাস্তার ওপরেই বিশাল পুলিশ বাহিনীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের ও সংবাদমাধ্যমের তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি যখন রিভলবার তাক করে বিক্ষোভকারীদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন কয়েক গজ দূরেই দিল্লি পুলিশের বিরাট বাহিনী ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চালানোর ঠিক আগে ওই ব্যক্তি চিৎকার করে ছাত্রদের উদ্দেশে বলে "ইয়ে লো আজাদি" (এই নাও তোমাদের স্বাধীনতা)। ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা তখন আজ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে তার সমাধিস্থল রাজঘাট অভিমুখে মিছিল করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দিল্লি পুলিশ ওই মিছিলের অনুমতি দেবে কি দেবে কি না, তা নিয়ে শেষ মুহূর্তেও ক্যাম্পাসে প্রবল উত্তেজনা ছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল বিরাট পুলিশ বাহিনীও। এরই মধ্যে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি সেখানে বন্দুক হাতে চলে আসে এবং অত্যন্ত নাটকীয়তার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাক করে গুলিও চালিয়ে বসে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল:যে কারণে এত বিতর্ক প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু চিত্র: ভারতের দাবি কতটা সত্যি? নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে অস্বস্তি? ভারতে থাকা 'অবৈধ বাংলাদেশীদের' ফেরানো হবে? জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা তখন আজ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে তার সমাধিস্থল রাজঘাট অভিমুখে মিছিল করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এরপর পুলিশের কর্মীরা ছুটে গিয়ে তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে কাবু করেন। তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়া হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় - তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তার বন্দুকের গুলিতে যে ছেলেটি আহত হয়েছে, তার নাম শাদাব বলে জানা গেছে। সে জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটিরই ছাত্র, এখন নিকটবর্তী হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিওতে তার হাত থেকে রক্ত ঝরার দৃশ্যও দেখা গেছে। অন্য ছাত্ররাই তাকে ধরাধরি করে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কীভাবে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতির মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের ওপর এভাবে দিনের আলোয় গুলি চালানো হল, ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা যথারীতি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান বিক্রম সিং-ও ওই ঘটনার ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন, "কীভাবে পুলিশ ২০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে নীরব দর্শক হয়ে থাকল, তা আমার মাথাতেই ঢুকছে না!" উল্লেখ্য, ভারতে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে যে তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সেই বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে দিল্লি পুলিশ জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। জামিয়ার নিকটবর্তী শাহীন বাগ এলাকায় এরপরই শুরু হয় লাগাতার ধরনা ও অবরোধ কর্মসূচী - যা এখনও অব্যাহত আছে। আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য
নাগরিকত্ব আইন: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করে বন্দুকধারী বললো 'ইয়ে লো আজাদি'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ৮৭টি, বিপক্ষে ৫৭টি। আর ৩৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন দরকার ছিল। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি বলেছিলেন, এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে এক 'ঐতিহাসিক ভুল' সংশোধন করা। কারণ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আজ পর্যন্ত হামাসের নিন্দা করে এরকম কোন প্রস্তাব পাশ করেনি। তবে হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সাধারণ পরিষদের এই ভোট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের মুখে একটা 'চপেটাঘাত।' হামাস মনে করে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অধিকার তাদের রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করছেন, যদিও প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়েনি, তারপরও এই প্রথম সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হামাসের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবের রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে কিন্তু এটি মানতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ফিলিস্তিনিদের নাকবা দিবস পালনের ইতিহাস পৃথক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রশ্নে অবস্থান বদলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই প্রথম হামাসের নিন্দা করে এ ধরণের একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন হামাস এবং এর সামরিক শাখাকে একটি সন্ত্রাসাবাদী দল বলে গণ্য করে। অন্যদিকে হামাসের সমর্থকরা মনে করেন, এটি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি ন্যায্য এবং বৈধ প্রতিরোধ আন্দোলন। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনে যে নির্বাচন হয়, তাতে হামাস জয়ী হয়েছিল। জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জাহরি টুইটারে মন্তব্য করেছেন, "জাতিসংঘে এই মার্কিন চেষ্টা যে বিফল হলো, তা মার্কিন প্রশাসনের গালে একটা চপেটাঘাত এবং আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলন যে বৈধ, সেটাই প্রমাণ করলো।" আর জাতিসংঘে ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত এসাগ আল হাবিব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে এই সংঘাতের মূল কারণ থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের বলিষ্ঠ সমর্থক। তারা জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ বছর তেল আভিভ থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে এনেছে।
হামাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রস্তাব নাকচ করে দিল জাতিসংঘ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন অর্জন করেছেন বাংলাদেশের চার বিজ্ঞানী। এবার এই মাছটির পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচনের কৃতিত্ব অর্জন করলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার গবেষক ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। ২০১৫ সাল থেকে এই জিনোম সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেন তারা। এই সফলতা ইলিশ মাছের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করার পাশাপাশি ভোক্তাদের কাছে ইলিশ আরও সহজলভ্য করে তুলতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা। ইলিশ জিনোম সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি নামের এই গবেষণা দলটির সমন্বয়ক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ. সামছুল আলম। জেনম কি এবং এ সংক্রান্ত তথ্য কী কাজে লাগে। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "জিনোম হচ্ছে কোনও জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোমের মাধ্যমে। " "ইলিশ সারা বছর সাগরে থাকে। শুধুমাত্র ডিম ছাড়ার জন্য নদীতে আসে। আর এই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স থেকেই জানা যাবে এরা কখন, কোথায় ডিম দেবে। " বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে ইলিশের মজুত কত, কোন ভৌগোলিক এলাকায় এর বিস্তৃতি কী পরিমাণে এসব বিষয়ে জানা যাবে বলে জানান ড. মোঃ. সামছুল আলম। পৃথিবীর মোট ইলিশের প্রায় ৬০ ভাগ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যানুযায়ী দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। এছাড়া পৃথিবীর মোট ইলিশের প্রায় ৬০ ভাগ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। এই বিপুল চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো। আর সেজন্য ইলিশের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজননসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরি বলে মনে করেন গবেষকরা। তাদের এই গবেষণা ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে বলে মনে করেন গবেষণা দলের আরেক সদস্য ড. মোঃ. বজলুর রহমান মোল্লা। তিনি গবেষণার তিনটি গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। "প্রথমত ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্স জানার মাধ্যমে ইলিশের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করা যাবে। " "এছাড়া ইলিশের জন্য দেশের কোথায় কোথায় ও কতটি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা বা তুলে নেয়া প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা যাবে।" "সেইসঙ্গে অন্য দেশের ইলিশ থেকে আমাদের ইলিশ বৈশিষ্ট্যগতভাবে স্বতন্ত্র কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যাবে", বলে জানান ড. মোঃ. বজলুর রহমান মোল্লা। এই গবেষণা যদি বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় তাহলে বাজারে আগের চাইতে বেশি পরিমাণে এবং বেশি সময় ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই গবেষণা বাস্তবে প্রয়োগ করা হলে ইলিশ সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিষয়টাকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা এবং দুই সন্তানের মা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, "বাচ্চারা মাছের মধ্যে ইলিশ মাছটাই খুব পছন্দ করে। কিন্তু ইলিশ সব মৌসুমে পাওয়া যায়না। পাওয়া গেলেও দাম এতো বেশি থাকে যে সব সময় চাইলেই কিনতে পারিনা। অপেক্ষা করতে হয় কবে ইলিশের সিজন আসবে। তবে ইলিশ যদি এখন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, দামটা যদি হাতের নাগালে থাকে। তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভাল হয়।" বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা থেকে পূর্ণবয়স্ক ইলিশ মাছ সংগ্রহ করে প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণার পর এই সফলতা অর্জন করেন তারা। পরে গবেষণালব্ধ ফলাফল আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। তবে একে আরও সমৃদ্ধ করতে গবেষণা চলছে বলে জানান পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান। গবেষণা দলের অপর দুইজন হলেন, বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম ও ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ গোলাম কাদের। আরও পড়তে পারেন: ইলিশ কি মিঠা পানির মাছ হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশে বাড়ছে ইলিশ, মিয়ানমারে কেন কমছে বাংলাদেশের ইলিশ না পেয়ে ভারতের বাজারে হতাশা আট বছর আগে পাটের দুটি জাতের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এছাড়া গমের জন্য ক্ষতিকারক ব্লাস্ট রোগের জন্য দায়ী ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন এ দেশের বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত ইলিশের 'জীবন রহস্য' কীভাবে এর উৎপাদন বাড়াবে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে মার্কিন জাতীয় সঙ্গীত রোববার হংকং-এর মার্কিন কনসুলেটের দিকে মিছিল করে যাওয়ার সময় এসব বিক্ষোভকারী অনেকের হাতে মার্কিন পতাকা দেখা যায়। তাদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল: "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন" এবং "হংকং-কে আবার সেরা নগরীতে পরিণত করুন।" তারা ঐ নগরটিকে চীনের হাত থেকে 'মুক্ত' করার জন্যও স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের প্রধান একটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়ার পরও ঐ শহরে গত ১৪ সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলছে। হংকং-এর ব্যাপারে নাক না গলানোর জন্য চীনের কর্তৃপক্ষ বার বার করে হুঁশিয়ার করে আসছে। তারা বলছে, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে পাওয়া এই সাবেক উপনিবেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে হংকং-এর নিজস্ব ব্যাপার। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, একটি নয়, তাদের পাঁচটি দাবির সবগুলোই মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কী চান বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। হংকং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু হয় একটি বিতর্কিত বন্দি বিনিময় আইনের খসড়াকে কেন্দ্র করে। এই আইনে বলা ছিল হংকং-এ কেউ গ্রেফতার হলে তাকে চীনের হাতে তুলে দেয়া যাবে, যেখানে রয়েছে ভিন্ন ধরনের বিচার ব্যবস্থা। এই খসড়া আইনটি বাতিলের দাবিতে এরপর সেখানে নিয়মিতভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলতে থাকে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগদান করেন। ব্যাপক জন-বিক্ষোভের মুখে গত জুন মাসে খসড়া প্রস্তাবটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়, এবং গত সপ্তাহে পাকাপাকিভাবে তা বাতিল করা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে আরও চারটি দাবিদাওয়া পেশ করা হয়। সেগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্র কী জড়িয়ে পড়তে পারে? মার্কিন পতাকা হাতে মুখঢাকা এক বিক্ষোভকারী। এই বিষয়ে অন্যান্য খবর: হংকং: সঙ্কুচিত হচ্ছে মীমাংসার পথ, উপায় কী চীনের? হংকং-এর বাংলাদেশীরা ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হংকং-এ হস্তক্ষেপ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের আকুল আবেদন সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বর্ণনা করেছেন এভাবে, "প্রেসিডেন্ট শি একজন মহান নেতা যাকে চীনা জনগণ খুবই সম্মান করেন।" গতমাসের মাঝামাঝি মি. ট্রাম্প একটি টুইট করেন যাতে তিনি লেখেন, "আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে প্রেসিডেন্ট শি দ্রুত এবং মানবিকতার সাথে হংকং সমস্যার সমাধান করবেন।" মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার শনিবার বলেছেন যে চীন সংযত আচরণ করবে বলে তিনি আশা করেন। চীন অবশ্য হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের মদত দেয়ার জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনকে দায়ী করেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রওশন-কাদেরের বিবাদ অবসানে সমঝোতা বরিস জনসন আইন না মানলে আদালতে যাবেন এমপিরা
হংকং-এ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের আবেদন: 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বেড়েই চলেছে জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বলছে চাহিদা অনুযায়ী তারা বাজারে পণ্য সরবরাহ করতে পারছেনা কাঁচামাল সংকটের কারণে। আর এ সুযোগে বাজার ছেয়ে গেছে নকল জীবাণুনাশক পণ্যে। আবার চাহিদা এতো বেড়েছে যে ৪/৫ গুন বেশি দামে বিক্রির অভিযোগও এসেছে এবং কয়েকটি জায়গায় এমন বেশি দামের কারণে ব্যবসায়ীদের জরিমানার ঘটনাও ঘটেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এক পর্যায়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে সাতটি কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম পর্যন্ত বেঁধে দিতে হয়েছে। তারপরেও এখনো অনেক জায়গায় অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে স্যাভলন কিংবা সেপনিলের মতো জীবাণুনাশক লিকুইডের বোতল। একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, জীবানুনাশক সাবানসহ সব ধরণের পণ্যের বার্ষিক বাজার সর্বোচ্চ পাচশ কোটি টাকার মতো ছিলো, যা এবার বছর শেষ ৫-৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঢাকার মগবাজারের অধিবাসী সানোয়ারা বেগম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি হেক্সাসল ব্র্যান্ডের দুটি ৫০ মিলিলিটারের বোতল কিনেছিলেন আড়াইশ টাকায়, যদিও তার প্রকৃত মূল্য ছিলো ৪০ টাকা করে মোট ৮০ টাকা। "আগে পাড়ার মুদি দোকানেও স্যাভলন পেতাম। হেক্সাসল বাসার সামনেই ছোটো ফার্মেসিতেই দেখতাম। কিন্তু মার্চের ১০/১২ তারিখে অনেক দোকান খুঁজে শেষে একটি বড় ফার্মেসিতে পেয়েছিলাম কিন্তু দাম নিয়েছিলো আড়াইশ টাকা"। আর এক পর্যায়ে বাজারে কোন ধরণের জীবাণুনাশকই পাওয়া যাচ্ছিলনা। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উৎপাদক কোম্পানিগুলো বলছে তারা সর্বোচ্চ উৎপাদন করেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছেনা। বরিশালের স্কুল শিক্ষক হোসনে আরা বলছেন, স্যাভলন ব্রান্ডের হ্যান্ড রাব অনেকদিন তিনি তার এলাকায় পাননি। "এখন পাচ্ছি। তবে দোকানদাররাই বলছে যে কম-কম নিন। কারণ কোম্পানিগুলো তাদের নাকি পর্যাপ্ত দিতে পারছেনা," বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মদ আর সিগারেট - ক্যান্সারের ঝুঁকি কোন্‌টির কতটা? বাংলাদেশে মদ্যপান সম্পর্কে যা জানা যায় করোনাভাইরাস: হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জীবানুনাশক পণ্য সরবরাহ বাড়লেও তাও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো কোন পণ্যগুলোর চাহিদা বেড়েছে: বাংলাদেশে যেসব কোম্পানী জীবাণুনাশক পণ্য উৎপাদন করে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্কয়ার ও এসিআই। দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাই বলছেন জীবাণুনাশক সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড রাব, জীবাণুনাশক লিকুইড অ্যান্টিসেপটিক, বেবী ওয়াইপসেরও মতো পণ্যগুলোর চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মাস্ক পড়া ও কিছুক্ষণ পরপর বিশ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর। বাংলাদেশে সাধারণ সৌন্দর্য সাবান আর কাপড় ধোয়ার সাবানের ব্যবহার বেশি হতো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এসব সাবানের বিক্রির পাশাপাশি ব্যাপক বেড়েছে অ্যান্টিসেপটিক সাবানেরও। এর বাইরে হ্যান্ড রাব ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বেশি দামে বিক্রি ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে। পাশাপাশি বাসা বাড়িতে লিকুইড অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করে ফ্লোর পরিষ্কার এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এ ধরনের লিকুইডও ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ইস্কাটন এলাকার একজন দোকানদার লিটন মিয়া। "আগে দিনে ২/৩ টা স্যাভলন লিকুইড বিক্রি করতাম। করোনা আসার পর কিছুদিন কোম্পানি থেকেই আনতে পারিনি উৎপাদন কম থাকায়। গত দু মাসে দিনে ৩০/৩৫টি করে বিক্রি করছি," বলছিলেন তিনি। বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ১৪৫,৪৮৩ জনে। কত বেড়েছে উৎপাদন ও বিক্রি, কোম্পানিগুলো কী বলছে ? বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় যেসব কোম্পানি জীবাণুনাশক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে তার মধ্যে আছে স্কয়ার, এসিআই, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা, ক্লিনজেল, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ও অপসোনিন। এর মধ্যে এসিআইয়ের স্যাভলন বা হেক্সাসল এবং স্কয়ারের সেপনিল স্যানিটাইজারের বিক্রি বেড়েছে কয়েকশ গুন। স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অফ মার্কেটিং জেসমিন জামান বিবিসি বাংলাকে বলছেনে আগে যেটি তারা বছরে ১৫-২০ টন উৎপাদন ও বাজারজাত করতেন এখন সেই পণ্য প্রতিদিন ৬০-৭০টন বাজারে সরবরাহ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, হ্যান্ড ওয়াশের চাহিদা বেড়েছে ৪/৫ গুন আর জীবাণুনাশক অন্য পণ্য গুলোর চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। "আমরা আসলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহও করতে পারছিনা। কারণ কারখানা ও কাঁচামালের ব্যাপার আছে। তবে বাজার চাহিদা মেটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি," বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। অন্যদিকে এসিআই কনজ্যুমার ব্রান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর বলছেন তাদের স্যাভলন লিকুইড ও এন্টিসেপটিক ক্রিমের বাজার কোভিড ১৯ মহামারির আগে ছিলো ৩৪ কোটি টাকার মতো। "আগে দরকার ছিলো দশ লাখ মানুষের। এখন দরকার হচ্ছে ১৭ কোটি মানুষের। সুতরাং চাহিদাটা কেমন হয়েছে বুঝতেই পারছেন," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। এসিআই বলছে এ মূহুর্তে তাদের সাবান, স্যানিটাইজার, রাব, লিকুইড এন্টিসেপটিক, ওয়াইপস বাজারে আছে যেগুলো জীবাণুমুক্ত করণে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে মানুষ। মিস্টার আলমগীর বলছেন করোনায় চাহিদা অনুযায়ী তারা সরবরাহ দিতে পারেননি। কারণ তারা আগে থেকেই এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারনা করতে পারেননি। "তাছাড়া লকডাউন ও ছুটির কারণে কন্টেইনারসহ নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছিলোনা। আবার যেসব দেশ থেকে কাঁচামাল এনে থাকি সেসব দেশেও করোনা। ফলে কাঁচামাল সংকট। তবে আমরা আশা করছি সামনের কয়েক সপ্তাহে উৎপাদন আরও অনেক গুন বাড়াতে পারবো আমরা," বলছিলেন তিনি। অন্যদিকে এ দুটি প্রতিষ্ঠানেই কাজ করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন বাংলাদেশে করোনার আগে জীবাণুনাশক পণ্যের বাজার ছিলো ৫শ কোটি টাকার মতো। "এখন আমাদের যে অ্যাসেসমেন্ট তাতে এখন এটি অন্তত আট হাজার কোটি টাকার বাজার। বুঝতেই পারছেন বাজারটি কতটা বিস্তৃত হয়েছে। ফলে আমাদেরও ক্যাপাসিটি বাড়াতে হচ্ছে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। সংকটের সুযোগে গড়ে উঠছে নকল পণ্যের বাজার সংকটের সুযোগ ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে নকল জীবাণুনাশক পণ্য। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পণ্যের নামের সদৃশ নাম দিয়ে বিক্রি করার সময় অনেককে আটকও করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। মে মাসেই চাঁদপুরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নকল স্যাভলনের মজুত খুঁজে পায় পুলিশ এবং এ ঘটনায় আটক করা হয় কয়েকজনকে। চট্টগ্রাম, যশোরসহ অনেকগুলো জায়গাতে পুরো মাস জুড়েই নকল স্যানিটাইজারসহ নানা নিম্মমানের জীবাণুনাশক পণ্য বিক্রি হয়েছে ব্যাপক। এসিআই নিজেও তাদের পণ্যের নকল করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। ঢাকাতেই গুলশানে দুটি ফার্মেসিকে নকল পণ্য রাখার দায়ে জরিমানাও করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে জীবাণুনাশক পণ্যের ব্যবসা এখন রমরমা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে এক গবেষণা বলছে পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশ জীবাণু সংক্রমিত তারা দেখেছেন খামারে গাভী দোয়ানোর পর্যায় থেকে শুরু করে বিক্রির দোকান পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দুধ মাইক্রোব বা অণুজীবাণু দ্বারা দূষিত, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের ১৮টি উপজেলা ও ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা প্রায় পাঁচশ পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন তাতে ই-কোলাইসহ স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ মলবাহিত নানা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। দুধ পাস্তুরিত করার প্রক্রিয়া কী? দুধকে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সুনির্দিষ্ট সময় ধরে উষ্ণ করার পর তা দ্রুত ঠাণ্ডা করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় পাস্তুরায়ন। সাধারণত দুধ গরম করা হয় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপাঙ্কে - তবে ৭০ ডিগ্রি তাপাঙ্কের উপরে। ৩০ সেকেণ্ডের কম দুধকে এই তাপমাত্রায় রাখার পর তা দ্রুত ঠাণ্ডা করে ফেলা হয় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পাস্তুরিত দুধকে সবসময় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা। ফরাসী বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ১৮৮০র দশকে তরল খাদ্যকে জীবাণুমুক্ত করার এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। কাঁচা দুধে খুব দ্রুত জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। দুধ একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপরে পৌঁছলে নানাধরনের অণুজীবাণু তাতে দ্রুত বিস্তারলাভ করে। পাস্তুরায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অণুজীবাণুর বিস্তার ঠেকানো সম্ভব। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে আপত্তি আসামে বাংলাদেশে রোজা পালনকারীর জন্য জরুরী ১১টি পরামর্শ জাপানে ২৫ সেকেণ্ড আগে ট্রেন ছাড়ায় শোরগোল বাংলাদেশে সরকারের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে বাংলাদেশে অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন একটা বড় সমস্যা। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বলছেন গাভী দোয়ানোর সময় থেকে শুরু করে প্যাকেটজাত পাস্তুরিত দুধ খদ্দেরদের হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপে সংক্রমণ ঘটছে। তিনি বলছেন বিষয়টিতে তারা খুবই উদ্বিগ্ন এবং দুধ দোয়ানো থেকে শুরু করে দুধ কালেকশান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া- সেন্টারে প্যাকটজাত করা - বাজারে নেয়া - অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত গোটা সরবরাহ চেইন তারা পরীক্ষা করে দেখছেন। গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে গাভী দোয়ানোর সময় থেকেই সংক্রমণ শুরু হচ্ছে কীভাবে সংক্রমণ হচ্ছে? আইসিডিডিআর,বি-র গবেষকরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন দুধের খামার, আড়ত, হিমাগার, দুধ বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে। সেসব নমুনায় খামারীদের কাছ থেকে নেয়া ৭২ ভাগ দুধই ছিল ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত। আর শীতলীকরণ কারখানা বা হিমাগার ও আড়ত থেকে নেওয়া শতভাগ দুধেই কোন না কোনভাবে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছে। এছাড়া গবেষণায় ব্যবহার করা পাস্তুরিত দুধের নমুনার মধ্যে ৩৭ ভাগ দুধ পাওয়া যায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত। আইসিডিডিআর,বি-র সহযোগী বিজ্ঞানী ও ফুড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরির প্রধান এবং এই গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, তাদের গবেষণাগুলোয় তারা দেখেছেন দুধের প্রাথমিক উৎপদানকারী পর্যায়ে এর দূষণের সাথে গরুর প্রজনন প্রক্রিয়া, গরুর দ্বারা উৎপাদিত দুধের পরিমাণ, দুধ দোয়ানোর সময়, এবং যিনি দুধ দোয়ান তার হাত ধোয়ার অভ্যাসের মতো বিভিন্ন বিষয় জড়িত। তিনি বলছেন স্বাস্থ্যকরভাবে দুধ দোয়ানো, সংগ্রহ ও সরবরাহ, সংরক্ষণ এবং পাস্তুরিত করার বিষয়ে যত্নবান হওয়া দরকার। পানের জন্য দুধকে নিরাপদ রাখতে দুধ উৎপাদনের স্থান থেকে ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে পাস্তুরিত দুধকে নিরবচ্ছিন্নভাবে শীতল রাখার পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। আইসিডিডিআর,বি পরামর্শ দিয়েছে বাজারের পাস্তুরিত কাঁচা দুধে উচ্চমাত্রায় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর উপস্থিতির কারণে এসব দুধ খুব ভালোভাবে না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়।
বাংলাদেশে পাস্তুরিত দুধে যেভাবে জীবাণু ঢুকছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
শ্রীলংকায় ভয়াবহ বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। কলম্বো থেকে বিবিসির সিনহালা বিভাগের সংবাদদাতা আজাম আমীন জানাচ্ছেন বৃহস্পতিবার কলম্বোয় এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতা বলেছেন, "নিরাপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর যারা এই নৃশংসতা চালিয়েছে, তারা আমাদের কেউ নয়।" সংবাদ সম্মেলনে এসিজেইউর নেতা এই ভয়াবহ হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হয় এবং তাদের সবোর্চ্চ কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তারা এমন কথাও বলেছেন যে ব্যক্তি এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল তার সন্দেহভাজন আচরণ সম্পর্কে বেশ কয়েক বছর আগে তারা দেশটির প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন। কলম্বোয় শ্রীংলকার ইমামদের প্রধান সংগঠন এসিজেইউ-র সংবাদ সম্মেলন বিবিসির সংবাদদাতা আনবারাসান এথিরাজন কথা বলেছেন শ্রীলংকার কাত্তানকুডি শহরে দুই সন্তানের মা হাশিম মাদানিয়ার সঙ্গে যার ভাই জাহরান হাশিম এই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী দলের নেতা ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকার গির্জা ও হোটেলে রোববার নয়জন বোমা হামলাকারীর এই দলটির চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: অধিকাংশ হামলাকারী 'উচ্চ-শিক্ষিত, ধনী ঘরের সন্তান' 'বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতা' স্বীকার করলো শ্রীলংকা সরকার শ্রীলংকা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড জাহরান হাশিমের উগ্র ধর্মীয় প্রচার সম্পর্কে স্থানীয়রা তাদের উদ্বেগের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে তরুণী হাশিম মাদানিয়া বলেছেন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে তিনি স্তম্ভিত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সামনে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত। পুলিশ তার সাক্ষাৎকার নিয়ে গেছে, যদিও তাকে সন্দেহভাজন হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে না। কাত্তানকুডি ভারত মহাসাগরের উপকূলে শ্রীলংকার মুসলমান অধ্যুষিত শহর- বাত্তিকালোয় শহরের কাছে এবং এই শহরের জনসংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি। আনবারাসান এথিরাজনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তারা ৫ ভাইবোন। তিনি সবার ছোট এবং মি: হাশিম সবার বড়। তার বয়স ৪০এর কোঠায়। তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেছেন ২০১৭ সালের পর থেকে ভাইয়ের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। সেসময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিন্ন আদর্শের গোষ্ঠিগুলোর মধ্যে সহিংসতায় জড়িত থাকার কারণে পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিল তখন সে গা-ঢাকা দেয়। হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাা জানাতে কাত্তানকুডির রাস্তায় রাস্তায় টাঙানো হয়েছে সাদা পতাকা। রোববারের হামলার পর, একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে জাহরান হাশিম বলে যাকে মনে করা হচ্ছে সে আইএস গোষ্ঠির নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির আনুগত্য স্বীকার করছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত যে আটজন আইএস-এর অনুগত বলে গোষ্ঠিটি দাবি করেছে তাদের মধ্যে একমাত্র জাহরান হাশিমের মুখই ভিডিওতে দেখা গেছে। শ্রীলংকার পুলিশ বলছে হামলাকারী ছিল মোট নয়জন, যাদের মধ্যে একজন নারী এবং এরা সবাই শ্রীলংকাতেই জঙ্গী হিসাবে বেড়ে উঠেছে। বলা হচ্ছে এরা সবাই "শিক্ষিত" এবং "মধ্যবিত্ত পরিবারের"। এদের একজন যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছে। হামলাকারীদের দুজন দেশটির বিশিষ্ট এক মশলা ব্যবসায়ীর ছেলে। ওই ব্যবসায়ী এখন পুলিশ হেফাজতে। এদের একজনের স্ত্রী রোববারের হামলার পর পুলিশি অভিযানের সময় আত্মঘাতী হয়েছে। ওই বিস্ফোরণে তার দুই সন্তান এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও মারা গেছে বলে পুলিশ সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। "ভাইয়ের কার্যকলাপের কথা আমি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি। আমি এক মুহূর্তের জন্যও ভাবতে পারিনি আমার ভাই এধরনের কাজ করতে পারে," বলেন মিজ মাদানিয়া। "আমি তার কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সে আমার ভাই হতে পারে। কিন্তু আমি এটা মেনে নিতে পারিনা। আমি তার কথা আর জানতেও চাই না।" জাহরান হাশিম কয়েক বছর আগে উগ্রপন্থী ধর্মপ্রচারক হিসাবে স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে বিধর্মীদের নিন্দা করে বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করার পর তিনি স্থানীয় মহলে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ওই ভিডিও এলাকার কিছু মুসলমানকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল, কারণ বৌদ্ধ-প্রধান শ্রীলংকায় মুসলিমরা সংখ্যালঘু। স্থানীয় মুসলিম নেতারা বলছেন তারা তাদের উদ্বেগের কথা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা আমলেই নেয়নি। মি: হাশিমের বোন জানান মুসলিমদের একাংশের কাছে তার ভাই খুবই জনপ্রিয় ছিলেন তার কট্টরপন্থী মতাদর্শের কারণে। মূলধারার মুসলিম সংগঠনগুলো তার উগ্র মতাদর্শের কারণে মি: হাশিমকে তাদের জমায়েতে কথা বলতে না দেয়ায় তিনি নিজেই কাত্তানকুডিতে ন্যাশানাল তৌহিদ জামাত নামে সংগঠন গড়ে তোলেন। জাহরান হাশিম যে মসজিদ তৈরি করেছিলেন সেখানে তার অনুগামীর সংখ্যা ছিল কয়েকশ। এখন সেই মসজিদ ফাঁকা। সমুদ্রের ধারে একটা মসজিদও তৈরি করেন মি: হাশিম। তার বিতর্কিত বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসার পর ন্যাশানাল তৌহিদ জামাত তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। কিন্তু গোপন স্থান থেকে উস্কানিমূলক ভিডিও প্রকাশ মি: হাশিম অব্যাহত রেখেছিলেন। তার গড়ে তোলা সংগঠনের সঙ্গে তার যোগযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গয়েছিল কীনা তা নিয়ে স্থানীয়রা সংশয় প্রকাশ করেছে। শ্রীলংকার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন এই সংগঠনটির নতুন একটি উপদল পরে তৈরি হয়েছিল। তবে, জাহরান হাশিম আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের একজন ছিল কীনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আইসিইউ-তে মৃত ৮০ শতাংশ রোগীর শরীরে সুপারবাগ যেসব খাবারের মাধ্যমে দেহে ঢুকছে অ্যান্টিবায়োটিক 'আমার মাথা একেবারে খালি হয়ে যায়, আমি ভেঙ্গে পড়ি
শ্রীলংকা হামলার অভিযুক্ত মূল হোতাকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল মুসলিমদের
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হয় সবচেয়ে কাছাকাছি অনুমান হচ্ছে এক হাজার জনে ৯ জন। অর্থাৎ এক শতাংশ। তবে এই মৃত্যু অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে: আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স, নারী না পুরুষ, স্বাস্থ্য ভালো না খারাপ এবং আক্রান্ত ব্যক্তি যে দেশের সেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন ইত্যাদি। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি কতোটা সেটা নিরূপণ করা পিএইচডি গবেষণার মতোই কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাবে না। কারণ সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা দিলে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ঠিক কতো মানুষ মারা যাচ্ছে সেবিষয়ে বিশ্বের একেক জায়গা থেকে একেক রকম হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটির ধরনে ভিন্নতার কারণে মৃত্যুর হার যে একেক জায়গায় একেক রকমের হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। বরং ব্রিটেনে ইমপেরিয়াল কলেজের এক গবেষণা বলছে, এই ভাইরাসটি শনাক্ত করার ক্ষেত্রে একেক দেশের ক্ষমতার ওপর মৃত্যুর এই হার কম বেশি হওয়া নির্ভর করছে। কোনো দেশে যদি সংক্রমণের হিসেব ঠিক না হয় তখন সেদেশে মৃত্যুর হার বেশি মনে হবে। কারণ আক্রান্তদের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে সেটা হিসেবের বাইরেই থেকে যাবে। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে 'ঘরে থাকুন' করোনাভাইরাসের কারণে কমেছে চীনে দূষণের মাত্রা করোনাভাইরাস কতোটা প্রাণঘাতী? লন্ডনের একটি বিশেষ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব সীমাবদ্ধতার কথা মাথা রেখেও বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হারের একটি চিত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। যাদের শরীরে সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে এরকম ব্যক্তি, যেমন চীন থেকে ফিরিয়ে আনা লোকজনকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুধু তাদের হিসাব থেকে যদি মৃত্যু হার নির্ণয় করা হয় তাহলে এক রকমের চিত্র পাওয়া যাবে। আবার যদি শুধু চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে পাওয়া তথ্য বিবেচনা করা হয় তাহলে হিসেবটি হবে আরেক রকমের। কারণ চীনের অন্যান্য এলাকা থেকে এই প্রদেশে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। একারণে বিজ্ঞানীরা সুনির্দিষ্ট কোনো হারের কথা বলেন নি। তারা বলেছেন, মৃত্যুর হার হতে পারে ১০০০ জনে ৫ থেকে ৪০। কিন্তু এ থেকেও মৃত্যুর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিছু কিছু মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি: বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি, এবং পুরুষ। চীনে আক্রান্ত ৪৪,০০০ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হচ্ছে, মধ্য বয়সী মানুষের চেয়ে বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি ১০ শতাংশ বেশি। মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ৩০ বছরের কম বয়সী লোকজনের মধ্যে। এরকম ৪,৫০০ জনের মধ্যে মারা গেছে আট জন। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে, আছে উচ্চ রক্তচাপ অথবা হৃৎপিণ্ড কিম্বা ফুসফুসের সমস্যা তাদের মধ্যেও করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্তত পাঁচ গুণ বেশি। এছাড়াও নারীর তুলনায় পুরুষের মধ্যেও সামান্য বেশি এই মৃত্যুর হার। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে অনেকেই মাস্ক পরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এগুলোর একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একারণে প্রত্যেক জায়গায় প্রত্যেক মানুষের ব্যাপারে এই মৃত্যুর হার সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। করোনাভাইরাসের কারণে চীনে ৮০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার যতো হবে ইউরোপ অথবা আফ্রিকার কোনো দেশে এই একই বয়সী মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ততো হবে না। আক্রান্ত হওয়ার পর কী ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে তার ওপরেও এই হার নির্ভর করে। অর্থাৎ ভাইরাসের প্রকোপ মহামারী হিসেবে রূপ নিলে এটি মোকাবেলায় সেখানে কী ধরনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আছে তার কারণেও মৃত্যুর হার কম বেশি হতে পারে। মৃত্যুর এই হার তুলনা করাও কঠিন কারণ ঠাণ্ডা ও সর্দি কাশি দেখা দিলেও অনেকে ডাক্তারের কাছে যান না। ফলে ঠিক কতো জনের আসলে সর্দি কাশি হয় অথবা কতো জন নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হন তার সঠিক হিসেবও নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু তারপরেও ফ্লুর কারণে প্রত্যেক শীতেই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা একটি পরিষ্কার চিত্র খুঁজে বের করতে পারবেন যে করোনাভাইরাসের কারণে কোন ধরনের মানুষের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হাত ধুয়ে এবং যাদের কাশি হয়েছে কিম্বা হাঁচি দিচ্ছে তাদেরকে এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। আরো পড়তে পারেন: নাগরিকত্ব আইন: কলকাতায় প্রবল বিক্ষোভের মুখেও অনড় অমিত শাহ মাহাথিরকে টপকে যেভাবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন মুহিইদ্দিন বীমা করার আগে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কতোখানি?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বছরের শুরুতে শিশুরা নতুন বই পেলেও বেশি দিন স্কুলে যাবার সুযোগ হয়নি তিনি বলেছেন যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। এছাড়া, পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা বা পিইসি পরীক্ষা সম্পর্কিত প্রস্তাবনা তৈরি করে তা বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। বুধবার তিনি ঢাকার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে পিইসি ও এবতেদায়ী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা বা পিইসি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নেয়ার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। "আগে যেমন একটা জায়গায় পরীক্ষাটা হতো - কেন্দ্রভিত্তিক, এটা না করে সেটা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে নেয়ার চিন্তা করছি। যাতে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত না হয়, সেটির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।" প্রাথমিক পর্যায়ের সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০০৯ সাল থেকে অন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে শিক্ষার্থীরা। বিবিসি বাংলাকে মিস্টার হোসেন বলেন, "আমাদের পরিকল্পনাগুলো পাঠিয়েছি (প্রধানমন্ত্রীর কাছে)। এ বিষয়ে চূড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি মেনে চলা হবে।" দুই-এক দিনের মধ্যে এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠান খুললে সেগুলো মেনে চলতে হবে বলে জানান জাকির হোসেন। যেসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো শুরু করেন অভিভাবকেরা। এরপর গত ১৬ই মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে সরকার। তবে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বড় রকমের ক্ষতি হচ্ছে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়, সে সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলছেন যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদান শুরু করার বিষয়ে ১৫-১৬টির মতো খসড়া নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে এবং বিদ্যালয় খুললে তাদের এগুলো পালন করতে হবে। এসব নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে: ১. ক্লাস শুরুর অন্তত ১৫ দিন আগে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নোংরা হয়ে গেছে। সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য আগেই খুলে দেয়া হবে।" ২. স্কুলের কক্ষে প্রবেশের আগে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কমিটির। যেসব স্কুলে টিউবওয়েল বা পানির ব্যবস্থা নেই, সেখানে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩. সব সময় সব শিক্ষার্থীদেরকে মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ৪. শিক্ষার্থীসহ সবার শরীরের তাপমাত্রা মেপে স্কুলে প্রবেশ করানো হবে। কোন ধরণের জটলা করার সুযোগ দেয়া হবে না। ৫. পাঠ্যক্রম আগের মতোই থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুলের অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনায় রেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে কোন দিন কোন ক্লাস হবে, সেটি নির্ধারণ করে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ই মার্চ থেকে থেকে স্কুলগুলোয় আর আগের মতো কোন ক্লাস-পরীক্ষা চলছে না ৬. স্কুলে থাকা শিক্ষার্থীদের কারো মধ্যে হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা নেবে। পাশাপাশি স্কুলে জরুরি সেবার মোবাইল নম্বর ঝুলিয়ে রাখা হবে। উপজেলা পর্যায়ে তথ্যকেন্দ্র থাকবে। ৭. সংক্রমণের উপর স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নির্ভর করবে। সরকার যদি কোন এলাকাকে রেডজোন ঘোষণা করে, তাহলে রেডজোনে স্কুল খুলবে না। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় রেডজোন ঘোষণা করা হলে স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হবে। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, "স্কুল খোলার পর করণীয় বিষয়ক নির্দেশনাটি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।" তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের উপর জোর দেয়া হয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন - এগুলো নজরদারি করবে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে যা যা পদক্ষেপ দরকার, তার সবগুলোই নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার কথা জানানো হয় মার্চ মাসের আট তারিখে। এরপর প্রথম দফায় ১৭ই মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়। তবে এর আগেই ঢাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও তখন স্থগিত করা হয়।
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে নিরাপদে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে যেসব নির্দেশনা মানার প্রস্তাব করা হয়েছে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুয়েটের ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী যিনি নিজেকে রাহাত নামে পরিচয় দিতে চান, তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। "আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে যা চলছে তা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। এসব অত্যাচারগুলা বন্ধ হতে হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত" বলেন রাহাত। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন দাবি মানতে চাইছেন না ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তারা বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নয় বরং ছাত্র রাজনীতির নামে যে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু হয়েছে তা বন্ধ হওয়া উচিত। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে শিক্ষাঙ্গনে প্রশাসনিক দখলদারিত্ব বেড়ে যাবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ। তিনি বলেন, "আমরা কোন ভাবেই মনে করি না ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত এবং আমরা এই দাবির বিরুদ্ধে"। "শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে যে রাজনীতি বা প্রক্রিয়া সেটা বন্ধ হওয়া উচিত। এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করা দরকার বা কথা বলা দরকার" বলেন মি. আহমেদ। ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন তুলে দেয়া উচিত। কারণ তারা ছাত্র রাজনীতির কোন নিয়ম বা ব্যাকরণ অনুসরণ করছে না বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক জিএস ড. মোস্তাক হোসাইন। তিনি বলেন, "অপরাজনীতিকে দমন করতে হলে সুস্থ্য ধারার ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে সেটা হবে না। অপরাধী ছাত্র সংগঠন বন্ধ হোক। এগুলো ক্যাম্পাসে থাকা উচিত না"। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ছাত্র সংগঠনগুলোর আয়ের উৎস কী? ছাত্রলীগের কিছু কাজ আওয়ামী লীগকে বিব্রত করে: হানিফ "রাজনৈতিক দলের শাখা হিসেবে শুধু শিক্ষাঙ্গনে নয় বরং ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি-কোথাও হওয়া উচিত নয়। এই দাবি তারা তুললে গোটা দেশবাসীর সমর্থন তারা পাবে" তিনি বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা, পরে তা সব পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ছাত্র রাজনীতির অনেক অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে যতগুলো বড় আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোটা বিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ২০০৬ সালে শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান বিরোধী আন্দোলন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন। এসব আন্দোলনের কোনটাই রাজনৈতিক দলের সহযোগি ছাত্র সংগঠনগুলোর উদ্যোগে হয়নি। বরং অনেক আন্দোলন যেমন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি দরকার। তবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হওয়াটা ছাত্র রাজনীতির জন্য খারাপ বলে জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন "ছাত্রদের নিজেদের যে চাওয়া পাওয়া রয়েছে তার পক্ষে অর্থ্যাৎ তাদের নিজেদের যা নিয়ে রাজনীতি করার কথা সে সুযোগ তাদের থাকতে হবে।" "কিন্তু সরকারি দলের যে দলগত রাজনীতি সেটা বন্ধ করা জরুরী"। "এটার চেয়েও যেটা বেশি জরুরী সেটা হল, শিক্ষকদের যে দলীয় রাজনীতি সেটাও ক্ষতিকর। এই শিক্ষক রাজনীতি টিকে থাকলে তা ছাত্র রাজনীতিকে নিজেদের টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে" বলেন তিনি। দলীয় রাজনীতির ছত্রছায়া বন্ধ করা গেলে গেস্টরুম কালচার, গণরুম ও র‍্যাগিংয়ের নামে ভয়ংকর নিপীড়ণ বন্ধ করা সম্ভব বলেও জানান সামিনা লুৎফা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আর্জেন্টিনা দল নিয়ে ঢাকা আসছেন লিওনেল মেসি? নতুন করে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান দুর্গাপূজার মণ্ডপে আজান নিয়ে বিতর্ক
আবরার হত্যা: বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি কি বন্ধ হওয়া উচিত?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
Diana Frances Spencer was born on 1 July 1961 at Park House near Sandringham, Norfolk. She was the youngest daughter of the then Viscount and Viscountess Althorp. After her parents' divorce, she often had to travel between their homes in Northamptonshire and Scotland. After school, she worked in London, first as a nanny, occasionally a cook, and then as an assistant at the Young England Kindergarten in Knightsbridge. Rumours spread that her friendship with the Prince of Wales was blossoming into something more serious. Press and television surrounded her at every turn and her days at work were numbered. The Palace tried in vain to play down the speculation. On 24 February 1981 the engagement became official. The ring cost almost £30,000 and contained a sapphire surrounded by 14 diamonds. Lady Diana walked down the aisle with her father, Earl Spencer, at St Paul's Cathedral on 29 July 1981. Her dress, designed by David and Elizabeth Emanuel, had a 25ft (10m) train and was made of ivory taffeta and antique lace. Diana was just 20. Under the watchful eyes of her mother and on the arm of her father, Diana prepared to take her wedding vows. She showed nerves only once, when she struggled to recall her husband's names in the right order. Millions of television viewers around the world were dazzled by the event, with a further 600,000 lining the route from Buckingham Palace to the Cathedral. Charles and Diana spent their honeymoon on the Royal Yacht Britannia for a 12-day cruise through the Mediterranean to Egypt - and then stayed at Balmoral Castle. Diana had always longed for a big family. Within a year of her marriage, on 21 June 1982, she gave birth to a son, Prince William, who is second in line to the throne. She believed in giving her children as normal an upbringing as royal circumstances would allow. William became the first male heir to go to nursery. The boys were not educated by private teachers, but went to school with other children. In 1984, on 15 September, William had a brother. He was christened Henry, though he is known as Prince Harry. The princess quickly became involved in the official duties of the Royal Family. Soon, she was on a constant round of visits to nurseries, schools and hospitals. She showed a spontaneity and ability to connect with people which endeared her to the public. On her first official visit to the United States, the princess shared a dance with John Travolta at the White House. From the time of her appearance on her first public engagement with her then husband-to-be, Diana's wardrobe became a focus of attention. The princess's charity work strengthened her popularity with the public. She played an important role in publicising the plight of people with Aids. Her speeches on the subject were forthright and she did away with many prejudices. Simple gestures like shaking hands with Aids patients proved to the public that social contact was risk-free. The Prince and Princess of Wales carried out many engagements together and went on overseas tours. However, by the late 1980s their separate lives had become public knowledge. On an official visit to India in 1992, Diana sat alone outside the Taj Mahal, the great monument to love. It was a graphic public declaration that although the couple were formally together, they were in fact apart. Diana remained a doting mother to her two sons. Prince Harry has said that Diana was "one of the naughtiest parents", before adding: "She smothered us with love, that's for sure." Diana gave a remarkably open interview to Martin Bashir and the BBC on 20 November 1995. Watched by millions, she described her post-natal depression, the breakdown of her marriage to Prince Charles and her tense relationship with the Royal Family as a whole. Throughout these troubles, the princess continued her charitable work. She visited Jemima Khan in Lahore, Pakistan, to support the cancer hospital run by Imran Khan, Jemima's then husband. Diana and Charles's divorce was finalised on 28 August 1996 and she officially became known as Diana, Princess of Wales. In June of the next year she auctioned off 79 dresses that had appeared on front covers of magazines around the world. The auction raised £3.5m ($4.5m) for charity and also seemed to symbolise a break with the past. On 31 August 1997, after dining at the Ritz Paris with Dodi Al Fayed, the son of millionaire businessman Mohamed Al Fayed, the pair left the restaurant in a limousine. They were pursued by photographers on motorbikes who wanted more snapshots of the princess's new friend. The chase led to tragedy in an underpass.
ছবিতে ডায়ানা প্রিন্সেস অফ ওয়েলেস-এর জীবনের কিছু মুহূর্ত
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। আন্ত:ধর্মীয় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আবুধাবি'র যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের আমন্ত্রণে আবুধাবি সফর করবেন পোপ। ঐতিহাসিক এই সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এক জমায়েতে উপস্থিত হবেন পোপ, যেখানে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে খ্রীস্টান ধর্মের শীর্ষনেতা কী বলেন - সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ইয়েমেনে অবরোধ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক হিসেবে আরব আমিরাতও রয়েছে, যেই অভিযান সমালোচনা করে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পোপ। গতবছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পোপ আহ্বান করেছিলেন যেন 'ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরো দুর্বিষহ' করে তোলা না হয়। আরো পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ রোমান ক্যাথলিক রয়েছেন, যাদের সিংহভাগ ফিলিপিন্স বা ভারতীয় বংশদ্ভূত। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক ভিডিও মেসেজে পোপ বলেন, "ভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ দেয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।" সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তিনি 'সহাবস্থান, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার মিলনস্থল' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবুধাবি সফরকালে পোপ কায়রো'র আল-আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সাথে দেখা করবেন। আল আজহার মসজিদের প্রধান ইমামের পদবিকে সুন্নি মুসলিম শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিসের আরব আমিরাত সফর পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরবে গীর্জা তৈরিতে সেদেশের সরকারকে উদ্বুদ্ধ করবে। সৌদি আরবে বর্তমানে অমুসলিম যে কোনো ধরণের উপাসনালয় নিষিদ্ধ। আরো পড়তে পারেন: ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষক আয়না নিয়ে যত অদ্ভুত ধারণা 'ধর্ষকের ইহাই পরিণতি' চিরকুট লিখে কারা হত্যা করছে
খ্রীস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস আরব আমিরাত সফর করছেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন। শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য সাধারণত র‍্যাপিড টেস্ট করা হয়ে থাকে। শরীরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে নিজে থেকে একপ্রকার প্রতিরোধী ক্ষমতার তৈরি হয়। সেটাই অ্যান্টিবডি। সচিবালয়ে একটি সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলছেন, ''করোনার র‍্যাপিড টেস্ট করার কোন সিদ্ধান্ত নেই, তবে এখন থেকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। '' তবে সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্টের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ বাংলাদেশে করোনা টেস্টের প্রতি অনাগ্রহ বাড়ছে কেন? করোনাভাইরাস পরীক্ষা ভালো না হলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়বে বাংলাদেশ গণস্বাস্থ্যের কিট ভাইরাস শনাক্তে অকার্যকর, বলছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অ্যান্টিজেন হচ্ছে ভাইরাসের প্রোটিন, যা শরীরের ভেতর প্রবেশ করে কোষের প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের ভেতর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস প্রবেশ করলেই শরীর সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসাবে গণ্য করে। কারো পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন পাওয়া গেলে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়। অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনকে ঠেকাতে কাজ করে। প্লাজমা থেরাপি অথবা টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে আসলে সেই অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আরো মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল ব্রেন্টন টারান্টের করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপির অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্র হজমশক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় কী কী? বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায় যেভাবে থাকে মানুষ
করোনা ভাইরাস: অনুমতি পাচ্ছে না 'অ্যান্টিবডি টেস্ট', আসছে 'অ্যান্টিজেন টেস্ট'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ কিছুদিন আগেই বিজেপির আর এক প্রভাবশালী নেতা রাম মাধব কথিত অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন, এখন রাজস্থানের একটি জনসভায় স্বয়ং বিজেপি সভাপতি বাংলাদেশীদের উইপোকা বলে আক্রমণ করলেন। ভারতের বিরোধী দলগুলি মনে করছে, নির্বাচনের আগে স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই বিজেপি আবার এই অবৈধ বিদেশীদের ইস্যু খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে - যদিও বিজেপি সে অভিযোগ মানতে নারাজ। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে ভারতে ভোটের প্রচারে নেমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে তার সরকার অবৈধ বাংলাদেশীদের লোটাকম্বল নিয়ে ফেরত পাঠাবে। তবে দিল্লিতে বিজেপি সরকার গড়ার পর এ নিয়ে আর কোনও সাড়াশব্দ শোনা যায়নি - কিন্তু এখন নির্বাচনের ছ'সাত মাস আগে আবার সেই একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে। শনিবার রাজস্থানের গঙ্গাপুরে এক জনসভায় বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের 'দীমক' বা উইপোকা বলে অভিহিত করে বলেন, "এরা ভারতীয় যুবকদের রুটিরুজি বা চাকরি কেড়ে নিচ্ছে, গরিবের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে।" "আমি আজই ঘোষণা করছি, আগামী বছর মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে এদের প্রত্যেককে বেছে বেছে ভোটার তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে।" কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা রাম মাধব ঘোষণা করেছেন, আসামের নাগরিক তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়বে তাদের বাংলাদেশে ডিপোর্ট করাটাই তাদের দলের নীতি। কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে বিজেপির আচমকা এভাবে তেড়েফুঁড়ে ওঠাটা ভোটের ভাবনা থেকেই, এ কথা অবশ্য মানছেন না দলের পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অবস্থান কিন্তু জনসঙ্ঘের সময় থেকেই। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন জনসঙ্ঘ এই ইস্যুতে বহু প্রস্তাব নিয়েছে, আশির দশকে জনসঙ্ঘ থেকে যখন বিজেপি স্থাপিত হল তখন থেকে বিজেপিও এই ইস্যুতে সরব। কাজেই এটা নতুন কিছু নয়।" "তবে হ্যাঁ, ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় নাগরিক-পঞ্জী বা এনআরসির দাবিকে আমরা লজিক্যাল কনক্লুশনে নিয়ে গেছি। কারণ যারা অর্থনৈতিক কারণে বা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভারতে আসছেন তাদের কারণে আমাদের আসাম-নাগাল্যান্ডের মতো বহু রাজ্যে রিসোর্সের ওপর প্রবল চাপ পড়ছে।" "এই বাড়তি জনসংখ্যার চাপে বহু রাজ্যে স্থানীয় সমাজে ভীষণভাবে হস্তক্ষেপ হচ্ছে, স্থানীয় সমীকরণগুলো বদলে যাচ্ছে এবং নানা ধরনের টেনশন বা উত্তেজনাও তৈরি হচ্ছে," বলছেন ড: গাঙ্গুলি। আসামের এনআরসি তালিকার বিরুদ্ধে কলকাতায় প্রতিবাদ। আরো পড়তে পারেন: বিজেপি নেতার ঘোষণায় শংকিত আসামের বাঙালিরা বাংলাদেশে মদ্যপান সম্পর্কে যা জানা যায় মেসিকে কি আমেরিকার মাঠে খেলতে দেখা যাবে? বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদা জেলা থেকে গত প্রায় দশ বছর ধরে নির্বাচিত কংগ্রেসের এমপি মৌসম বেনজির নূর - তিনি কিন্তু মনে করেন 'দেশের স্বার্থ-ফার্থ'- এসব একদম বাজে কথা! তার কথায়, "সামনে ভোট আসছে - তাই এটা আসলে ধর্মের নামে মেরুকরণ করে গোটা বিষয়টার মাধ্যমে রাজনৈতিক ভোট-ব্যাঙ্ক তৈরির চেষ্টা। তা যদি না-হত, তাহলে এখন নয় - অনেক আগেই তারা ইস্যুটা তুলতেন।" মিস নূর আরও বলছেন, মালদা থেকেও বহু বাংলাভাষী মুসলিম কাজের খোঁজে ভারতের নানা প্রান্তে যান, এখন অবৈধ বাংলাদেশী খোঁজার হিড়িকে আক্রমণের নিশানা করা হচ্ছে তাদেরও। "আমাদের জেলারই লোক আফরাজুলকে গত ডিসেম্বরে রাজস্থানে পিটিয়ে, পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। মালদা থেকে যে অভিবাসী শ্রমিকরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন, তাদের অনেককেই আসলে বাংলাদেশী বলে হেনস্থা করা হচ্ছে।" "তারা যে মালদারই বাসিন্দা ও ভারতের নাগরিক, সেটা প্রমাণ করতে আমরা রেসিডেন্ট সার্টিফিকেটও দিয়ে থাকি। কিন্তু তারপরও এই ধরনের হামলা চলছেই। আসলে এভাবেই বিজেপি বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশটা ভাগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে," বলছিলেন মৌসম নূর। কিন্তু এখন ভারতের সবচেয়ে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশীদের অন্যতম বাংলাদেশ - তা সত্ত্বেও দলের শীর্ষ নেতারাই যদি বাংলাদেশীদের এভাবে আক্রমণ করেন, তাহলে বিজেপি সরকার কূটনৈতিকভাবে সেটা কীভাবে সামলাবে? অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলছিলেন, "প্রথম কথা হল বাংলাদেশকে স্বীকার করতে হবে যে এই সমস্যাটা আছে। সে দেশের বুদ্ধিজীবী বা সুশীল সমাজ এই জিনিসগুলো ঠিকই বোঝেন, আবার তাদের অনেকে বিষয়টা ঢাকারও চেষ্টা করেন। তারা এমন ভাব করেন যেন এই সমস্যাটার কোনও অস্তিত্বই নেই! "এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিকভাবে আরও ভাল বোঝাপড়ার মাধ্যমে, সংলাপের মাধ্যমে - সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষয়টাকে দেখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমস্যাটার মোকাবিলা করা যায় সেটা ভাবতে হবে।" "কিন্তু তার আগে আমরা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না, আইনগতভাবে যা করার তা আমাদের করতে হবে। কারণ আসামে একটার পর একটা জেলার ডেমোগ্রাফি ক্রমশ বদলে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গও সেই একই রাস্তায় হাঁটছে!" বলছিলেন দিল্লিতে বিজেপির পলিসি রিসার্চ সেলের ওই নেতা। ফলে বিজেপির বক্তব্য খুব পরিষ্কার - বিগত কয়েক দশকে আসাম-পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা যেভাবে মুসলিমপ্রধান হয়ে উঠেছে, সেই প্রবণতা ঠেকাতেই তাদের 'বাংলাদেশী হঠাও' অভিযান চলবে। তার জন্য বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা উইপোকা বলে গালাগাল দিতেও কুণ্ঠিত হবেন না, মিত্র প্রতিবেশী দেশ তাতে যা-ই মনে করুক না কেন!
ভারতে অবৈধ বাংলাদেশীদের কেন 'উইপোকা' বলে আক্রমণে বিজেপির নেতা অমিত শাহ?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং জানিয়েছেন আজ বিকেলে তিনি এই টিকা নেন, কিন্তু কোথায় তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো জানানো হয়নি। এর আগে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও টিকা নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে গত সাতাশে জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দেয়ার মধ্যে দিয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। তবে গণ-টিকাদান শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। সব জেলা উপজেলার এক হাজারের বেশি কেন্দ্র থেকে একযোগে শুরু হয় এই টিকাদান কার্যক্রম। বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের কোভিড টিকাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা জানি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন ও তার উত্তর কুর্মিটোলার নার্স রুনুকে দিয়ে উদ্বোধন হলো টিকা অভিযানের বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট প্রথম দিনেই বেশ কিছু সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং পরবর্তীতে বিদেশি কূটনীতিকরা টিকা নিয়েছেন। এরপর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা দেয়ার আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিন ৩১ হাজার মানুষকে টিকা দিলেও পরের ছয় দিনে ৭ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছিলো। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তিনিও টিকা নেবেন। ২১শে জানুয়ারি ভারতের উপহার দেয়া ২০ লক্ষ ডোজ টিকা ঢাকায় আসে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি টিকা অবশ্যই নেবেন। তবে তার আগে দেশের মানুষ কত পার্সেন্ট নিতে পারলেন, সেটা তিনি দেখতে চান। "'কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমাদের একটা টার্গেট করা আছে। সেই সংখ্যা পর্যন্ত যখন হবে, তারপরে আমারটা আমি নেব। তখন যদি টিকা থাকে, তখন আমি নেব," তিনি বলেছিলেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা: করোনা ভাইরাসের টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ডে কেয়ার সেন্টারে অনেক বাবা মা এখন সন্তানদের রেখে কাজে যান সেখানে বলা হয়েছে, শিশুর কোনো অব্যবস্থাপনা হলে বা শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। ঢাকার বাসিন্দা সামিনা ইয়াসমিন তার সন্তানকে একটা দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে-কেয়ার সেন্টার রেখে অফিসে করেন। ছয় মাস আগে তিনি বাসার সাহায্যকারীর কাছে রেখে যেতেন সন্তানকে। কিন্তু নিরাপদ বোধ না করায় তিনি এখন বাচ্চাকে একটি ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যান। তিনি বলছেন, কিছুটা চিন্তা থাকলেও ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে কাজে যেতে তিনি অপেক্ষাকৃত বেশি নিরাপদ বোধ করেন। তিনি বলছিলেন "যদি পরিচিতজনদের মাধ্যমে হয়, বাসার কাছে হয়, বিশ্বস্ত হয় - তাহলে সন্তান রেখে কিছুটা নিরাপদ লাগে। কারণ তাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। এছাড়া বাসায় কাজের সাহায্যকারীর কাছে রাখলে বা অন্য কারো কাছে রাখলে নিরাপদ লাগে না"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সেন্ট মার্টিনে গিয়ে পর্যটকেরা যে ১৪টি কাজ করতে পারবেন না টিকার জন্য নিবন্ধনের নামে 'মোবাইল থেকে তথ্য চুরির ফাঁদ' সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ধর্মঘট-বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার শর্ত শিথিল করলো সরকার, আরো যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন উত্তরাখণ্ডের হিমবাহ ধসে ১৪ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ ঢাকা শহরে এমন চাকরিজীবী বাবা-মায়েরা চিন্তায় থাকেন সন্তানকে কার কাছে রেখে নিজের কর্মস্থলে যাবেন। একক পরিবার হলে দু:চিন্তার কারণ আরো বেশি হয়। ডে কেয়ার সেন্টার বা শিশুদের দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলো অর্থের বিনিময়ে শিশুদের দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে রেখে যত্ন করে। বাংলাদেশ সরকার আজ এসব ডে কেয়ার সেন্টার গুলোকে একটা নিয়মের আওতায় আনার জন্য একটা খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কোনো অব্যবস্থাপনা হলে বা শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। তিনি বলেছেন "যে পরিমাণ জেল জরিমানার কথা বলা আছে,তাতে বুঝতে পারবেন কতটা শক্ত বার্তা সবাইকে দেয়া হয়েছে" নিরাপদ একটা ডে কেয়ার সেন্টার সব বাবা-মায়ের কাম্য এ আইন প্রবর্তন হলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণীর কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনানুযায়ী নিবন্ধন সনদ নিয়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে বেসরকারিভাবে কতগুলো আছে সেই সংখ্যার সঠিক হিসেব পাওয়া যায়না। ঢাকার শ্যামলীর ক্রিয়েটিভ ডে কেয়ার এন্ড প্রি স্কুল সেন্টারের মালিক অনন্যা সাহা বলছিলেন, অনেক সময় ডে কেয়ার সেন্টারের খরচের সাথে অভিভাবকদের মতের অমিল হয়। সেক্ষেত্রে সরকারের নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলছিলেন "যারা ছোট পরিসরে কাজ করছে এবং বাবা-মায়ের অনেক সময় সামর্থ্য থাকে না বড় ডে কেয়ার সেন্টারে রাখার, সেক্ষেত্রে সরকারকে সাহায্য করা উচিত"। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, এই আইন কার্যকরের ৬ মাসের মধ্যে সবাইকে নিবন্ধন করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
খসড়া আইন অনুমোদন, ডে সেন্টার থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফিরে পাওয়া রাশিদাকে কোলে মা সুমা আক্তার বেশিরভাগ সময়ই দুই বছরের মেয়ে রাশিদা আক্তারকেও সাথে করে নিয়ে যেতে হয়। এপ্রিলের ২৫ তারিখ বিকেলের দিকে মেয়েকে একটি মিষ্টির দোকানের বাইরে ফুটপাতের উপর বসিয়ে রেখে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নানা ধরনের আবর্জনা বস্তায় ভরছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন ছোট্ট মেয়েটি সেখানে নেই। নিখোঁজ নয় অপহরণ সুমা আক্তার শুরুতে আশপাশে তাকাতে থাকেন। খেলতে খেলতে হয়ত একটু দূরে সরে গেছে, কিন্তু মেয়েকে কোথাও দেখতে না পেয়ে ভয় পেয়ে যান। তার সাথে যখন কথা হচ্ছিল তখন কাঁদছিলেন তিনি। বলছিলেন, "আমি নিজে দুইদিন ধইরা খুঁজছি। আমি অনেক জায়গায় কাগজ টুকাই। সব জায়গায় গেছি। এরে ওরে জিগাইছি। কিন্তু মাইয়ার কোন খবর পাইনাই। কেউ কিছু বলতে পারে না।" সুমা আক্তার দুই দিন পর বংশাল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে বিষয়টি অবহিত করেন। সেখানে মেয়ের হারিয়ে যাওয়া বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্ত করতে গিয়ে বংশাল রোডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরিষ্কার হয় যে শিশুটি নিখোঁজ হয়নি। বংশাল থানার পুলিশ বলছে, নিজের সন্তানদের সহযোগিতায় রাশিদাকে তুলে নিয়ে গেছেন একজন নারী। তাকে ভিক্ষায় ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং শিশুটিকে মেরে আহত করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছে আরেকটি শিশু। (ফাইল ফটো) সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেছে বংশাল থানায় ঘটনাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিকদার বলছিলেন, "যেখানে মেয়েটি বসেছিল সেখানকার এবং তার আশপাশের বেশ কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি আমরা। সেই ফুটেজ দেখে আমরা বুঝলাম বাচ্চাটা নিখোঁজ হয়নি। একজন নারী এই বাচ্চাটাকে চুরি করেছে।" ফুটেজে কি দেখা গেছে তার বর্ণনা দিয়ে মি. সিকদার বলছিলেন, শুরুতে দেখা গেল তিনটি ছোট বাচ্চা এসে রাশিদার কাছে বসলো। তারা কিছুক্ষণ কথা বলল, কিছুক্ষণ খেলাও করলো। এরপর সাদা প্যাকেটে করে রাশিদাকে কিছু একটা খেতে দেয়া হল। অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে নবজাতককে ফেলে দেয়ার ঘটনা বাড়ছে কীভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে পথশিশুরা? করোনাভাইরাস: শিশুরা যেভাবে এই মহামারির নীরব শিকার "ওই তিনটা বাচ্চার মধ্যে যার বয়স সবচেয়ে বেশি, দশ বছরের মতো, তার মাথা ও মুখ কাপড় দিয়ে হিজাবের মত ঢাকা ছিল। সে এক পর্যায়ে রাশিদাকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলো। তারপর কোলে তুলে নিলো।" মি. সিকদার বলছিলেন, ফুটেজে দেখা গেছে দশ বছরের মেয়েটি কিছুদূর গিয়ে রাস্তা পার হয়েছে। তখনো পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক কেউ সাথে ছিল না। তাদের মা আলাদা করে আগে রাস্তা পার হয়েছেন। এই শিশুদের সাথে যে তার কোন সম্পর্ক আছে তা শুরুতে বোঝা যায়নি। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর তারা একসঙ্গে হাঁটতে শুরু করে। বিভিন্ন বস্তিতে খোঁজ নেয় পুলিশ। যেভাবে উদ্ধার হল রাশিদা শুধু ফুটেজ দেখে অবশ্য বোঝা যায়নি শিশুটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোহাম্মদ আলী সিকদার বলছিলেন, যে তিনটি বাচ্চাকে ফুটেজে দেখা গেছে তাদের পরনের পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছিল তারা নিজেরাও দরিদ্র। "গায়ের কাপড়ের কারণে আমরা আশপাশে যত বস্তি আছে সেসব যায়গায় খোঁজ নেই। এরা এত গরিব যে বাচ্চার কোন ছবি পর্যন্ত নেই। কিভাবে লোকজনকে বোঝাবো যে বাচ্চাটা দেখতে কেমন। কোন হারিয়ে যাওয়া বাচ্চা সম্পর্কে কেউ কিছু জানলে আমাদের তথ্য দিতে বলি।" মেয়েকে ফিরে পাওয়া মি. সিকদার জানান, "ঢাকার কাছে কেরানীগঞ্জের শহীদনগর বস্তির ম্যানেজারের চোখে পড়েছে যে তার একজন ভাড়াটিয়ার তিনটি বাচ্চা, কিন্তু আরও একটি শিশুকে কয়েকদিন ধরে তাদের ঘরে দেখা যাচ্ছে এবং শিশুটিকে মারধোর করা হচ্ছে। বাচ্চাটি কান্নাকাটি করে।" এই তথ্যের ভিত্তিতে ছয়দিন পরে রাশিদাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার দুটো চোখেই কালশিটে,শরীরের নানা স্থানে আঘাতের নীল চিহ্ন। পিঠ ও নিতম্বে আঘাতের চিহ্ন বেশি স্পষ্ট। পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাশিদাকে ভিক্ষায় ব্যাহারের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চেহারা বিকৃত করে অসুস্থ দেখানোর জন্য মারধোর করা হয়েছে। অপহরণকারী নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দশ বছর বয়সী মেয়েকে আটক করা হয়েছে। রাশিদাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আজ আদালতের আদেশে তাকে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেয়েকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সুমা আক্তার বলছিলেন, "মাইয়াডারে মাইরা কিছু রাখে নাই। কিন্তু ওরে কোলে পাইয়া জানডায় যেন আমার পানি আসছে।"
ভিক্ষার জন্য অপহরণ: যেভাবে উদ্ধার হল দুই বছরের শিশু
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
গত ডিসেম্বর থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে ৯৮ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। কোন্ দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু? করোনাভাইরাস, যার ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ কোভিড-১৯ ঘটে থাকে, প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে উহানে। এরপরের কয়েক মাসে সেটা দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কঠোর লকডাউনের কারণে কিছু কিছু দেশে রোগের বিস্তার কমে এলেও অনেক দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ আমেরিকায় রোগটির দ্রুত বিস্তারের কারণে মধ্য মে মাস নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মন্তব্য করেছিল যে, আমেরিকা মহাদেশ রোগের নতুন কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। তবে আফ্রিকা, এশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্যেও রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত ও পাকিস্তানে সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশেষ করে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, মেক্সিকো ও ইকুয়েডরে কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগটির ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় এখনো মহামারির শীর্ষ অবস্থা তৈরি হয়নি। ব্রাজিলে মাসে এখন এক হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বে এই দেশেই এখন দশ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ৫৫ হাজার মানুষ। ভারত ও পাকিস্তানেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬৯৫ জনের। বিশ্বের ১৮৮টি দেশে ৯৮ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। কোন্ দেশগুলোয় সংক্রমণের 'দ্বিতীয় ধাপ' আসছে এর আগের মহামারিগুলোয় দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ ঘটতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও সেরকম ঘটবে, কিন্তু দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনো পুরোপুরি একমত হতে পারেননি। তবে বেশ কয়েকটি দেশ ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনার পরেও আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা দেখতে পেয়েছে। যেমন ইরানে প্রতিদিন আবার ৩০০০ করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। দেশটিতে প্রতিদিন ১০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রেও রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে জনসমাগমের স্থানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবার কড়াকড়ি আরোপ করেছে পর্তুগাল। চীনের বেইজিংয়ের পাইকারি মার্কেট থেকে ছোট আকারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বলা হলেও, কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কোন্ দেশে বেশি রোগী জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৪ হাজার চারশো মানুষের। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরপরেই বেশি আক্রান্ত হয়েছে ব্রাজিলে ( ১২ লাখ ৭৪ হাজার নয়শো জন) এবং রাশিয়ায় (৬ লাখ ১৯ হাজার নয়শো জন) বাসিন্দারা। এরপরে রয়েছে ভারত (৫,০৮,৯৫৩ জন), যুক্তরাজ্য (৩,১০৮৩৭), পেরু (২,৭২,৩৬৪)। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে ১৭ নম্বরে। তবে ধারণা করা হয়, বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেক মানুষের লক্ষণ খুব সামান্য দেখা যায় এবং অনেকের পরীক্ষা হয় না, ফলে হিসাবেও আসেন না। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনা ভাইরাস: বিশ্বের কোন্ দেশে মহামারির অবস্থা বেশি খারাপ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বদলে যাচ্ছে পৃথিবী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে নিচ্ছে অনেক কিছু ড্রোন কিম্বা রোবট দিয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি কিম্বা এলাকায় চালানো হতে পারে সন্ত্রাসী হামলা, চালকবিহীন গাড়ি ছিনতাই করে সেটিকে নিক্ষিপ্ত করা হতে পারে দুর্ঘটনায়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্ষেপে এ আই-এর উপর একটি প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছেন, এই প্রযুক্তি যদি ভ্রষ্ট-নীতির কোনো রাষ্ট্র, যারা আন্তর্জাতিক আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না, তাদের কাছে কিম্বা অপরাধীসহ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায় তাহলে তার বড় ধরনের অপব্যবহার হতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়ানো হয় না বাংলা এটাই কি অলিম্পিকের সর্বকালের সেরা প্রেমের গল্প? বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে 'পর্ন তারকার' নামে বইয়ের স্টল দিয়ে বিপাকে তিন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাময়িক বিপর্যয় নিয়ে কী বললেন মাশরাফি? আর একারণে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন তৈরি করা হচ্ছে তখন এর উদ্ভাবকদের একই সাথে এমন জিনিসও তৈরি করতে হবে যাতে এর অপব্যবহার না হয়, আর হলেও সেটা মোকাবেলা করা যায়- বলছেন গবেষকরা। এই লক্ষ্যে ২৬ জন গবেষকের একটি দল তুন কিছু আইন কানুন তৈরি করার উপরেও জোর দিচ্ছেন। তারা বলছেন: যুক্তরাজ্যে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহার আভিন বিবিসিকে বলেছেন, এই প্রতিবেদনটিতে বর্তমানে যেসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি আছে কিম্বা আগামী পাঁচ বছরে আরো যেসব প্রযুক্তি বাজারে আসতে পারে সেগুলোর ঝুঁকি তুলে ধরা হয়েছে। এতে খুব বেশি দূরের ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর আলোকপাত করা হয়নি। ভুল মানুষের হাতে পড়লে এই ড্রোনও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে প্রতিবেদনটিতে বিশেষ করে যে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সেটা হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যখন অতিমানবীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং যেখানে কোনো দিক নির্দেশনা নেই। একারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অদূর ভবিষ্যতে কিভাবে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তার কিছু উদাহরণ তিনি তুলে ধরেছেন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইন্সটিটিউটের মাইলস ব্রান্ডেজ বলেছেন, মানুষের, প্রতিষ্ঠানের ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকির চিত্র বদলে দেবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। দুর্বৃত্তরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে হ্যাক করার উদ্দেশ্যে, মানুষের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা হতে পারে- নিরাপত্তার ব্যাপারে সব ধরনের ঝুঁকিই এখানে আছে। "বেশিরভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এই প্রযুক্তি যে শুধু মানুষের বুদ্ধির পর্যায়ে চলে যায় তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে এটা মানুষের বুদ্ধির সীমাকেও ছাড়িয়ে যায়," বলেন তিনি। সুটকেসের ভেতরে ভরে স্পেনে শিশু পাচারের অভিযোগে পিতার জরিমানা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে 'পর্ন তারকার' নামে বইয়ের স্টল দিয়ে বিপাকে তিন শিক্ষার্থী এ আই-এর উপর তৈরি এই প্রতিবেদনটিতে দেখা হয়েছে আগামী ১০ বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে পারে? এই গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছু বদলে দিচ্ছে। আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি যা কিনা কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের কার দিনে দিনে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ১০০ পাতার এই রিপোর্টে তিনটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে- ডিজিটাল, শারীরিক ও রাজনৈতিক - এগুলোতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপ্রয়োগ হতে পারে।
ড্রোন, রোবট, চালকবিহীন গাড়ি- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এতো ভয় কিসের?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
'প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন শিশুর মতো খুশি রাখতে হয়' ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে লেখা বিতর্কিত বই 'ফায়ার এন্ড ফিউরি'র লেখক মাইকেল ওলফ তার বই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেয়া কোন সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। মিস্টার ওলফ মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি'কে এই সাক্ষাৎকার দেন। মাইকেল ওলফ এই বইটি লিখেছেন প্রায় দুশো জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বইটিকে 'মিথ্যে কথায় ভরা' বলে নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু মিস্টার ওলফ বলেছেন, এই বইতে প্রকাশিত প্রতিটি কথা সত্য। যাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বইটি লিখেছেন তাদের সাক্ষাৎকারের রেকর্ড বা নোট তার কাছে আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে মাইকেল ওলফের সঙ্গে তিনি কখনো কথাই বলেননি। কিন্তু মিস্টার ওলফ বলেছেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি তিন ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন। বইটি নিষিদ্ধ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবীরা। কিন্তু সেটি উপেক্ষা করে প্রকাশনার তারিখ এগিয়ে এনে শুক্রবারই এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে। আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন ১০ বিস্ফোরক তথ্য এই বই নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবারও তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে আঘাত করার জন্য গণমাধ্যম এবং তার প্রতিপক্ষ এই বইটিকে সামনে আনছে। তবে এর জবাবে মাইকেল ওলফ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং যারা তার চারপাশে আছেন তাদের শতকরা একশো জনই প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করার মতো তিনি যোগ্য কীনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হোয়াইট হাউজের কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আচরণ একটা শিশুর মতো। তার সব কিছুই নিজেকে নিয়ে। তিনি কিছু পড়েন না, কিছু শোনেন না। তিনি একটা পিনবলের মতো সব দিকে উল্টো পাল্টা ছুটতে থাকেন। মিস্টার ওলফ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বইটির প্রকাশনা থামাতে গিয়ে বরং উল্টো বইটির কাটতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিস্টার ওলফকে হোয়াইট হাউজে তার কাছে যাওয়া বা তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির জবাবে তিনি বলেন, "সেটাই যদি হবে, তাহলে আমি হোয়াইট হাউসে কী করছিলাম? আমি অবশ্যই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। এবং এসব কথাবার্তা অফ দ্য রেকর্ড ছিল না।" নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি মোট তিন ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন বলে দাবি করেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলেছেন, এই বইতে যা লেখা হয়েছে তার অর্ধেকও যদি সত্য হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মারাত্মক মতিভ্রমের মধ্যে আছেন এবং তাঁর হোয়াইট হাউসে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে।
হোয়াইট হাউজের কর্মীদের চোখে ডোনাল্ড ট্রাম্প: 'তাঁর আচরণ শিশুর মতো'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
প্রত্যাবাসনের ভয়ে এই রোহিঙ্গা নারী ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ফিরে আসেন। দ্বিতীয় দফার প্রত্যাবাসন চেষ্টা যে ব্যর্থ হবে সেটি আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল। কারণ, গত তিন দিন ধরে যেসব রোহিঙ্গা পরিবারের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা সবাই একবাক্যে বলেছেন যে তারা এখন মিয়ানমারে ফিরবেন না। গতকাল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের অনেকই আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বুধবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপড়ায় ১৬ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, গত দুইদিনে যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাদের কেউই ঘরে নেই। তাদের আশংকা ছিল জোর করে হয়তো মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বুধবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপাড়ায় ১৬ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, গত দুইদিনে যে রোহিঙ্গারা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাদের কেউই ঘরে নেই। দুপুরের দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলন করার কিছু পরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা আবারো ফিরতে শুরু করেন। এদের একজন নূর বানু। তিনি আমাকে জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর আয়োজন দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। নূর বানুর আতঙ্কিত হবার যথেষ্ট কারণও আছে। গত কয়েকদিন ধরে শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা বলাবলি করছিল, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছে তাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। শরণার্থী ক্যাম্পে ঘুরে যে বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা গেল সেটি হচ্ছে এখনই মিয়ানমারে না ফিরতে রোহিঙ্গারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রত্যাবাসন যাতে শুরু না হয় সেজন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় অনেকে বেশ তৎপর। প্রত্যাবাসন যাতে শুরু না হয় সেজন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় অনেকে বেশ তৎপর। এদের মধ্যে অনেকেই ক্যাম্পগুলোতে ঘুরে-ঘুরে রোহিঙ্গাদের বুঝিয়েছেন যে কোনভাবেই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া যাবে না। ফলে ক্যাম্পের সব রোহিঙ্গার বক্তব্য প্রায় একই রকম। আয়েশা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী দোভাষীর সাহায্যে বলেন, " দরকার হলে এখানেই আমাদের মেরে ফেলুক। তবুও বার্মায় ফিরে যাব না।" রোহিঙ্গারা বলেছেন, মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা এবং নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলেই তারা ফেরত যাবেন।
প্রত্যাবাসন সঙ্কট: ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বহু রোহিঙ্গা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় প্রকাশ পায় যে মোল্লা মো: আবু কাওসার ঢাকার ওয়াণ্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি ঢাকায় মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দেয়া বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন তিনি দলীয় সভানেত্রীর এ নির্দেশনা ইতোমধ্যেই মিস্টার কাওসারকে জানিয়ে দিয়েছেন। "আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির সাথে কথা বলেছি। নেত্রীর নির্দেশনা তাকে জানিয়েছি। তাকে নেত্রী তার পদ থকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এটা আমি ইতোমধ্যেই তাকে জানিয়ে দিয়েছি"। স্বেচ্ছাসেবক লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের একটি, যার দায়িত্বে ছিলেন মোল্লা মো: আবু কাওসার। এবার ঢাকায় ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় প্রকাশ পায় যে তিনি ঢাকার ওয়াণ্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি। ওই ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করেছিলো। মূলত এরপর থেকেই আর সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছিলোনা তাকে। এর মধ্যেই মিস্টার কাওসার ও তার পরিবারের সদস্যদের এবং তাদের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসেব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঢাকায় জুয়া: ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো চার 'ক্যাসিনো'তে রাতের সমন্বিত অভিযানে বহু আটক জুয়া নিয়ে বাংলাদেশের আইনে যা বলা আছে
ক্যাসিনো বিতর্ক: স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিও পদ হারালেন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প 'ডোনাল্ড ট্রাম্পের বোধশক্তি ঠিকই আছে'
ট্রাম্পের বোধশক্তি যাচাইয়ের টেস্টে পাশ করবেন তো?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মঙ্গলগ্রহে তরল পানি থাকার প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের বিশ্বাস, এটি একটি হৃদ এবং সেটি রাডার ব্যবহার করে খুঁজে পাওয়া গেছে। যা গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আশা জোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন: যেভাবে চলছে ভোটের হিসেব বাংলাদেশীদের ঠেকানোর ডাক নাগাল্যান্ডের নেতার নয় বছর পর বিদেশে সিরিজ জয় বাংলাদেশের ফাইভ জি সম্পর্কে যেসব তথ্য না জানলেই নয়
মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বরগুনায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় এসেছে বন্ড০০৭ নামের একটি গ্রুপ। ঢাকার একজন বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন লক্ষ্য করছিলেন যে, তার ছেলেটির আচরণ সম্প্রতি বেশ বদলে গেছে। ''সে ঠিক সময়ে বাসায় ফেরে না। স্কুল শেষ করেও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চলে যায়, আসে অনেক রাতে। ওর মায়ের কাছে বেশি হাতখরচের টাকার জন্য বায়না করে।'' ''আমি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি, বাসায় সময় কত দিতে পারি? কিন্তু স্কুল থেকে অভিযোগ আসার পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি, আরো কয়েকজন ছেলের সঙ্গে মিলে অন্য একজনকে মারধর করেছে। এটা জেনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।'' ঘটনা দুই: ফরিদপুরের একজন বাসিন্দা গত ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী তার দুই সন্তান থাকে। কিছুদিন আগে স্কুল পড়ুয়া ছেলেটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে, স্ত্রীর চাপে তিনি সেটি কেনার জন্য টাকাও পাঠান। কয়েকদিন পরে সেই মোটরসাইকেল নিয়ে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে, এখন জামিন হলেও মামলা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার স্ত্রী বলছিলেন, ''ছেলে যখন যা চেয়েছে, সব কিনে দিয়েছি। কোন বায়না বাকী রাখি নাই। কিন্তু সে যে এই কাজ করবে কল্পনাও করি নাই। অন্য খারাপ ছেলেদের পাল্লায় পড়ে সে নষ্ট হয়েছে।'' বাংলাদেশে ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কিশোরদের মধ্যে গ্যাং বা দলবদ্ধভাবে নানা ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আরো পড়ুন: ঢাকায় বাড়ছে অস্ত্রধারী কিশোরদের গ্যাং কালচার বন্ড০০৭ এর মতো কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে কিভাবে গত ৮ই সেপ্টেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারদের তৎপর থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় এ ধরণের কিশোর গ্যাংয়ের কারণে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মারধর, চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিং, মাদক ব্যবসা, মেয়েদের উত্যক্ত করার মতো অভিযোগও রয়েছে এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং-এর দৌরাত্ম রোধে কাজ করছে পুলিশ। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। গত কয়েকদিন ঢাকা চট্টগ্রাম মিলিয়ে সারা দেশে এরকম কিশোর গ্যাং-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ১০০ কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব গ্যাং সদস্যদের মধ্যে অনেক নামীদামী স্কুলের শিক্ষার্থী, ধনী ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরাও জড়িয়ে পড়েছে। অথচ সন্তানদের এসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অভিভাবকদের কোন ধারণাই ছিল না। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করার পর মিডিয়ার সামনে হাজির করেছে র‍্যাব কেন গ্যাং সংস্কৃতিতে জড়িত হয়ে পড়ছে কিশোররা? পুলিশ ও সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, অ্যাডভেঞ্চার বা ক্ষমতা দেখানোর লোভ, মাদক, বন্ধুদের পাল্লা পড়াসহ নানা কারণে কিশোর গ্যাং গুলো তৈরি হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড.তানিয়া রহমান বলছেন, বর্তমান সময়ের ব্যস্ততার কারণে অনেক বাবা-মা সন্তানদের ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। এমনকি সন্তান কি করছেন, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, তাদের চাহিদা কী, এসব সম্পর্কেও তারা কোন খোঁজ রাখেন না। ''ফলে এই সন্তানরা বন্ধুদের কাছে আশ্রয় খোঁজে, তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করে। সেখানে তারা একই ধরণের মানসিকতা খুঁজে পায়, সাপোর্ট পায়। এভাবেই তাদের ছোট ছোট দল তৈরি হয়।'' তিনি জানান, পরে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে বা রাজনৈতিক বড়ভাইয়ের স্বার্থে এই কিশোররা জড়িত হতে থাকে। অনেক সময় এলাকায় আধিপত্য দেখানো, সবার সামনে নিজেকে জাহির করার লোভ থেকে তারা নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। ''দেখা যায়, ক্লাসের একজন বন্ধু কোন গ্যাংয়ের সদস্য হলে আরেকজনকে সেখানে সদস্য হতে প্রভাবিত করে। এ ধরণের ছেলেদের অন্যরা একটু ভয় পায়। ফলে সেটা তাদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষমতার মনোভাব তৈরি হয়। ফলে তারা গ্যাংয়ের সঙ্গে আরো ভালোভাবে জড়িয়ে পড়ে।'' ''পরে মাদক বা নিজেদের খরচ জোগাড় করতে তারা নানা অপরাধ করা শুরু করে। এরপর আর বেরিয়ে আসতে পারে না।'' বলছেন অধ্যাপক তানিয়া রহমান। অনেক সময় নিজেদের দল ভারি করতে প্রথম দিকে বিনামূল্যে মাদক সরবরাহ করে শিক্ষার্থীদের আসক্ত করে তোলা হয়। পরে তাদের গ্যাংয়ের সদস্য করে নেয়া হয়। তিনি সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, তার পরিচিত একটি পরিবারের সন্তান ঢাকার একটি নামী স্কুলের ছাত্র, কিন্তু কয়েকদিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিল না। তার বাবা-মা জোর করার পর সে জানায়, সে আর ওই স্কুলে পড়তে চায় না। কারণ সেখানে ওপরের ক্লাসের কয়েকজন ছাত্র তাকে জোর করে মাদক নিতে বলে। না হলে তাকে মারধর করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বলেন, তারাও এ ধরণের ঘটনা শুনেছেন, কিন্তু তারাও অসহায়। পরে ওই স্কুলটি পরিবর্তন করে ওই পরিবারটি। বিবিসি বাংলার কথা হয় এমন একজন তরুণের সঙ্গে যে স্কুলে পড়ার সময় ঢাকার একটি এলাকার একটি গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে একটি কলেজে পড়াশোনা করছেন। কেন তিনি এমন একটি গ্রুপে জড়িত হয়েছিলেন? ''ক্লাসের তিনটা গ্রুপ ছিল। বেশিরভাগই কোন না কোন গ্রুপের সদস্য ছিল। ওদের সঙ্গে থাকলে সবাই সমীহ করতো। কারো সঙ্গে গণ্ডগোল হলে ওরা আমার হয়ে মারপিট করতে আসতো, সে কারণে বেশ ক্ষমতাবান মনে হতো। আমিও কয়েকবার অন্যদের সঙ্গে মারামারি করেছি।'' কিন্তু একসময় এই গ্রুপের সদস্যরা মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে, যাার শিকার হন তিনিও। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করে সুস্থ করে তোলেন। পরে তারা ওই এলাকা বদলে আরেক এলাকার স্কুলে ভর্তি হন। ''তখন যদি আমার পরিবার আমাকে ফিরিয়ে না আনতো, আজকে হয়তো আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে যেতো।'' বলছেন সদ্য কুড়ি উত্তীর্ণ তরুণটি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জামাল খাসোগজি: 'কোরবানির পশু' বলে বর্ণনা করেছিল এক ঘাতক ক্রিকেটারদের বাড়িতে ডেকে যা বললেন বিসিবি প্রধান বিনা খরচে জাপানে যেভাবে চাকরি পাওয়া যাবে যাদের মতে টুইন টাওয়ার বিমানের আঘাতে ভাঙেনি বরগুনায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় এসেছে বন্ড০০৭ নামের একটি গ্রুপ। কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান গ্যাং কালচারে জড়িত সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিশোরদের গ্যাংয়ে জড়িত হওয়া ঠেকাতে অভিভাবকরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন। অধ্যাপক তানিয়া রহমান বলছেন, সন্তানের চলাফেরা, আচরণের দিকে লক্ষ্য রাখলেই বুঝতে পারা যাবে যে, সে আসলে কোন গ্যাং বা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কিনা। ''হয়তো সন্তানটি সময়মতো বাসায় ফিরছে না। ঠিকমতো খাচ্ছে না বা ঘুমাচ্ছে না। হয়তো বাসায় ফিরে নিজের ভেতর গুটিয়ে থাকছে। অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। বাসায় বন্ধুদের নিয়ে বেশি আড্ডা দিচ্ছে।'' ''কাপড়চোপড়ের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। হয়তো হাতে বা কানে নানা ধরণের অলংকার ব্যবহার শুরু করেছে। কথাবার্তা বা আচরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এসব লক্ষণ দেখা গেলেই সন্তানের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।'' বলছেন অধ্যাপক তানিয়া রহমান। তিনি বলছেন, বর্তমানে অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই কাজ করেন, ফলে সন্তান কি করে, কার সঙ্গে মেশে, সেটা ঠিকভাবে খোঁজ রাখেন না। কিন্তু সন্তানের ওপর সবসময়ে নজর রাখা খুব জরুরি। বিশেষ করে কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, টাকা কোথায় খরচ করছে, ঠিক সময়ে বাসায় ফিরছে কিনা, ইত্যাদি নজরে রাখা উচিত। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক (মনোরোগ) মেখলা সরকার বলছেন, ''সন্তানের আচরণের দিকে লক্ষ্য রাখলেই বোঝা সম্ভব যে, তার মধ্যে আসলে কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা? সে কোন গ্যাং বা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কিনা? কারণ এ রকম কিছু ঘটছে তার আচরণে, অভ্যাসে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। প্রথম দিকে সেটা সনাক্ত করা গেলে খুব সহজেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।'' তিনি বলছেন, এ রকম ঘটনায় ছেলেমেয়ের টাকার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে তার বাসায় ফেরার সময়সূচীরও ঠিক থাকে না। এই দুইটি বিষয় দেখা গেলেই সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক গ্যাং তাদের যোগাযোগের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে কীভাবে ফেরাবেন সন্তানকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান গ্যাং এর সদস্য জানতে পারলেই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। বরং পারিবারিক কিছু উদ্যোগের মাধ্যমেই এ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক তানিয়া রহমান বলছেন, ''অভিভাবকদের জন্য সন্তানকে সময় দেয়া জরুরি। তাদের সঙ্গে আস্থার, বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।'' ''আমাদের সংস্কৃতিতে পশ্চিমা অনেক কিছু ঢুকে গেছে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছি, বিদেশি কেতায় চলছি, সুতরাং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেই স্বাভাবিকতা নিয়ে আসতে হবে। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করাটা জরুরি।'' তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, সন্তানের স্কুলে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা, কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, সেটা নিয়মিতভাবে নজরে রাখা উচিত। এছাড়া সন্তানদের হাতখরচ দেয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকা উচিত, যেন সেটা অতিরিক্ত না হয়। মনোরোগবিদ অধ্যাপক মেখলা সরকার বলছেন, ''সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে। তাকে বকাঝকা নয়, বরং তার কথা শুনতে হবে। কেন সে গ্যাং এর সাথে জড়িত হয়েছে সেটা বোঝা দরকার। সন্তানের চাহিদার ব্যাপারটি বুঝতে হবে।'' তিনি বলছেন, অনেক পরিবারে বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব থাকে। আমরা দেখেছি, এ ধরণের পরিবারের সন্তানরাই মাদক বা গ্যাং জাতীয় ঘটনাগুলোয় বেশি জড়িয়ে পড়ে। সেই দূরত্ব কাটাতে অভিভাবকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলছেন, অনেক বাচ্চার মধ্যে আচরণগত ক্রুটি থাকে। এ কারণেও অনেকে গ্যাং এর সদস্য হতে পারে। এক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তা নিতে হবে। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, এরকম ঘটনায় সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে পরিবেশের পরিবর্তন। যেমন ওই এলাকা থেকে দূরের অন্য এলাকায় চলে যাওয়া, স্কুল-কলেজ বদলে ফেলা ভালো। সেক্ষেত্রে সন্তানের জন্য সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান কিশোর গ্যাং কালচারে জড়িত হয়ে পড়ছে