instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
18
162
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল বাহিনী কয়েক ঘন্টা ধরে আগুন জ্বলার পর এখন 'ওয়াহিদ ম্যানসন' নামের ভবনটি ধসে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তরা। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার সংকীর্ণ রাস্তার কারণে ঘটনাস্থলে দমকলের বড় গাড়ি ঢোকাতে সমস্যা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের তারএবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির আধিক্যের কারণে ঘটনাস্থলের গাড়ি পৌছানো সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নেল রহমান। বুধবার রাত সাড়ে দশটার পর পাঁচতলা ঐ ভবনটিতে আগুন লাগে। তবে, আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে, সেটি এখনো কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, নিচতলায় লাগা আগুন ক্রমে ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আগুন আশেপাশের ভাবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নেভানোর জন্য আশেপাশের মসজিদ ও বড় ভবনগুলো থেকে পানি ছেটানো হচ্ছে। এদিকে, পুলিশের চকবাজার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এখনো কারো নিহত হবার খবর নিশ্চিত জানাতে পারেননি তিনি। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটির নিচতলায় সুগন্ধি তৈরির একটি কারখানা ছিল এবং ভবনটির বেসমেন্টে গোডাউন ছিল। এছাড়া, ভবনের পাশেই রাসায়নিকের গুদাম ছিল বলে অনেকেই বলছেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার পর ভবনের সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন অনেকে। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালের জুনে পুরানো ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের কারখানায় আগুন ধরে ১২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পুরানো ঢাকার আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের কারখানা বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই মূহুর্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিসের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৪৫জন মানুষ ভর্তি হয়েছেন।
পুরানো ঢাকার চকবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে, ভবন ধসের আশংকা
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
নিকি হেলি, জাতিসংঘে মার্কিন দূত (ফাইল ফটো) সংবাদ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, বৈঠকে জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হেলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে কিছু সদস্য দেশের জন্য মিয়ানমারের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদ কোনো শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। নিকি হেলিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টরস জানাচ্ছে, "কাউন্সিলের (নিরাপত্তা) কিছু সদস্যের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য কিছু করা সম্ভব হচ্ছেনা।" "এমনকী সাম্প্রতিক সফরের সময় কোনো কোনো প্রতিনিধি কাউন্সিলের ঐক্য নষ্ট করেছেন, কাউন্সিল যে বার্তা মিয়ানমারকে দিতে চেয়েছিল, তা দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।" রয়টরস জানাচ্ছে, সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ না করলেও মার্কিন দূত যে চীনেরই সমালোচনা করেছেন তা স্পষ্ট ছিল। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে থেকে ব্রিটেন যে বিবৃতির খসড়া প্রস্তাব করেছিল, চীনের চাপে তাতে অনেক পরিবর্তন করতে হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ব্রিটেনের তৈরি প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলা হয়েছিল, যেটা চাপের কারণে বাদ দিতে হয়েছে। ফলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত ঐক্যমত্য হয়। মার্কিন দূত নিকি হেলিকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, "রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা জরুরী হয়ে পড়েছে। সমাধানে মিয়ানমার যাতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়, তা নিশ্চিত করার ক্ষমতা আমাদের কাছে রয়েছে।" এএফপি বলছে, মুখে না বললেও, নিকি হেলি মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। নিকি হেলি এবং জাতিসংঘে চীনা দূত মা ঝাওশু (ফাইল ফটো) জানা গেছে জাতিসংঘে চীনের দূত মা ঝাওশু মার্কিন দূতের সমালোচনার জবাবে বলেন - পরিস্থিতি আরো জটিল না করে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিৎ বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে দ্বিপাক্ষিক-ভাবে সমস্যার সমাধান উৎসাহিত করা। কূটনীতিকদের সূত্রে সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মিয়ানমারের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আলোচনায় রাশিয়াও চীনের সমর্থনে কথা বলেছে। এ মাসের গোঁড়ার দিকে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের মিয়ানমার সফরের সময় জাতিসংঘে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে বলেছিলেন - সফরকারী কূটনীতিকরা মিস সুচি এবং মিয়ানমারের সেনা প্রধানকে 'স্পষ্ট করে বলেছেন' রাখাইনে নির্যাতন, হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলোর 'বিশ্বাসযোগ্য' তদন্ত না করলে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিসি) বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টরসের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ এবং হত্যার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে মিয়ানমারের সেনা-কর্মকর্তাদের আইসিসিতে বিচার হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করা যায়। তবে নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য- চীন ও রাশিয়ার অবস্থানের কারণে সে পথে এগুনো কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আইসিসির কৌসুঁলি ফাতু বেসওদা (ফাইল ফটো)। রাখাইনে অপরাধ তদন্ত করার অনুমতি চেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক আদালতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিরাপত্তা পরিষদে মতদ্বৈধতা স্বত্বেও, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণের জন্য অভিযুক্তদের তদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসওদা এই তদন্তের জন্য বিচারকদের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। এ ব্যাপারে আদালতের তিনজন বিচারক গত সপ্তাহে বাংলাদেশের বক্তব্য জানতে চেয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, এই তদন্ত হবে কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে অপরাধ আদালতের বিচারকরা জুনের ২০ তারিখ এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবেন। আরও পড়ুন: রোজা: ছয়টি অতি পরিচিত ভুল ধারণা নাকবা দিবসে গাজায় আরও সহিংসতার আশঙ্কা
মিয়ানমারকে আগলে রাখছে চীন? যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ক্যাশ মেশিনের সাথে ডিভাইস বসিয়ে, গ্রাহকের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানানো হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। বেসরকারি ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের একটি এটিএম বুথে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় তার চেহারা ধরা পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার সাথে একজন বাংলাদেশি ছিলো বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে থানায় ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ক্যাশ মেশিনের সাথে কার্ড ক্লোন করার যন্ত্র বসিয়ে কার্ডের তথ্য চুরি করে এটা করা হয়েছে যাকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘স্কিমিং জালিয়াতি’ বলে উল্লেখ করছে। শুধু ইস্টার্ন ব্যাংক থেকেই শুক্রবার বিশ জনের বেশি গ্রাহকের এটিএম কার্ড থেকে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ হাতিয়ে নেবার ঘটনা ঘটেছে। মি সাহা জানিয়েছেন, যে বুথে ঘটনাগুলো ঘটেছে তারা সেগুলো সরেজমিনে দেখেছেন। এধরণের ঘটনা ঘটলে কি করতে হবে সেনিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় বিদেশি নাগরিক জড়িত
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
গাইবান্ধায় সহিংসতার পর বাস্তুচ্যুত সাঁওতালরা। একটি সংস্থা বলছে, ২০০৭-১৫ পর্যন্ত আট বছরে সাঁওতালদের সঙ্গে ভূমি কেন্দ্রিক ৯০টি সংঘর্ষ হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় এখন প্রায় চার লাখ সাঁওতাল বসবাস করছে। গাইবান্ধায় রংপুর সুগার মিলের অধীনে থাকা ১৮৪২.৩০ একর জমির অধিকার নিয়ে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে তিন সাঁওতাল নিহত হন। ৫০এর দশকে আখ খামার গড়ে তুলতে সাঁওতালসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে এ জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আরো দেখুন: কেমন আছে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা সাঁওতালদের ধান বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ 'উচ্ছেদ-আগুন-লুটের প্রতিবাদে' সাঁওতাল বিক্ষোভ সাঁওতালদের অভিযোগ সরকারদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের হাতকড়া খুলে দিতে বলেছে আদালত যেখানে সাঁওতালদের ১৫টি এবং বাঙালীদের ৫টি গ্রাম ছিল। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে দাবি করেন, অধিগ্রহন ছাড়াও ওই সময় ৬২২ একর জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করে বলছেন, গত তিন প্রজন্মে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সাড়ে তিন লক্ষ বিঘা জমি বেহাত হয়ে গেছে যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। আবুল বারকাতের এই গবেষণা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। গাইবান্ধায় চিনি কলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করার সময় তাদের বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় সম্প্রতি গাইবান্ধায় চিনি কলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের পর ঐ ঘটনা পরিদর্শন করেছেন আবুল বারকাত। তিনি বলেন, ঐ জমির অধিকাংশই সাঁওতালদের মালিকানায় ছিল। বাগদাফার্ম নামটাই বাগদা সরেনের নামে যিনি ছিলেন সাঁওতাল। মি. বারকাত বলেন, "২০১৪ সালের মূল্যমানে দশ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ জমি-যাতি সমতল ভূমির আদিবাসীর হাত থেকে চলে গেছে অন্যের হাতে। তার মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে ৫৩% হচ্ছে সাঁওতালদের। আমি যেটা পাই গত তিন প্রজন্মে তাদের সাড়ে তিন লক্ষ বিঘার মতো জমি চলে গেছে। যে জমির বর্তমান মূল্যমান ৫ হাজার কোটি টাকার উর্ধ্বে।" গোবিন্দগঞ্জের বিরোধপূর্ণ জমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ধানক্ষেত। নিজেদের রোপণ করা ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাঁওতাল নারী। তিনি গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, সমতলের ১০টি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সাঁওতালদের জমিই সবচে বেশি বেদখল হয়েছে। কেন সাঁওতালদের জমি এত বেশি বেহাত হলো এরও ব্যাখ্যা দেন মিস্টার বারকাত। তিনি বলছেন,"জমির ওপর তাদের গোষ্ঠীগত মালিকানা ছিল। জমির ওপর যখন ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকে তাহলে দলিল থাকার কথা না। দলিল নাই জমি আছে। এই জমি একসময় বেশি দাম ছিল না। জমি দুষ্প্রাপ্য হওয়া শুরু করলো তখন অআদিবাসী যারা তারা বুঝলো যে এই জমির দলিল বানাইতে পারলে জমির মালিক হওয়া যায়। জাল দলিল ভুয়া দলিল ইত্যাদি একটা বড় কারণ।" তিনি বলেন, "এগুলো দখল করেছেন সমাজের উপরের দিকে যারা। এবং উপরের দিকে যারা তারা সবসময় একটা রাজনৈতিক দল ফলো করেন। যে দলই ক্ষমতায় আসুক তারা সব সময় সরকারি দলেই থাকেন"। কাপেং ফাউন্ডেশনের তথ্যে ২০০৭-১৫ পর্যন্ত আট বছরে সাঁওতালদের সঙ্গে ভূমি কেন্দ্রিক ৯০টি সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৩০ জন আহত এবং ১৬ জন সাঁওতাল নিহত হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে হিসেব রাখার পর দেখা যাচ্ছে প্রতি বছরই সাঁওতালদের জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা বাড়ছে। চিনিকলের জমি থেকে উচ্ছেদের পর গাইবান্ধায় বাস্তুচ্যুত সাঁওতাল পরিবার জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, "দিনাজপুরের ঢুডু সরেনের বাবাকে পাকিস্তান আমলে হত্যা করা হয়েছে, ২০১১ সালে তার ভাইকে মারা হয়েছে এবং ঢুডু সরেন নিজেই নিহত হয়েছেন প্রকাশ্য দিবালোকে ভূমি শত্রুদের হাতে এবং তারাও ক্ষমতাসীন দলের লোক"। মিস্টার সরেন বলেন, সবক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্ষমতা এবং প্রভাবশালীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে সাঁওতালরা। তিনি বলেন,"শত শত ঘটনা আছে যার বিচার আজও হয়নি। কোনো হত্যার বিচার হয়নি। বিচারও তারা পাচ্ছে না। থানায় যাবে মামলা নিচ্ছে না। দেখা গেছে বরং আদিবাসীদের ওপর মামলা চাপিয়ে দিচ্ছে ভূমি দস্যুরা, প্রভাবশালীরা।" সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বলছে, তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেবল ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছে। ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে সমতলেও একটি স্বাধীন ভূমি কমিশন চাইছে সাঁওতালসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীরা।
'তিন প্রজন্মে সাঁওতালদের সাড়ে ৩ লক্ষ বিঘা জমি বেহাত হয়েছে'
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল, ফাইল ফটো শেষ ওভারে ভারতের দেয়া ১১৩ রানের লক্ষ্য ছুঁতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। প্রথম বলে ১ রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে এক রান নেন রুমানা আহমেদ। এরপর পরপর দুই বলে উইকেট গেলে, শেষ বলে বাংলাদেশ দলের জয়ের জন্য ২ রান প্রয়োজন ছিল। সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলাম ২ রান নিলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। এর আগে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান তোলে ভারত। রুমানা আহমেদ ও খাদিজা তুল কুবরার নিয়ন্ত্রিত বোলিং-এ ভারত ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারায়। তখন ধারণা করা হয়েছিল যে ভারতীয় দল হয়তো ১০০ রান করতেও ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংসের কারণে ভারত ১১২ করে সংগ্রহ করে। আরো পড়ুন: এশিয়া কাপে উড়ছে নারী ক্রিকেটাররা, উন্নতির রহস্য মেয়েদের ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয়? ক্রিকেট: সাকিবের অধিনায়কত্ব ও রশিদের স্পিন ভীতি বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তুললেও এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। পুনাম যাদব ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রান করেন নিগার সুলতানা ও ২৩ রান করেন রুমানা। নারীদের এশিয়া কাপে এর আগের সবগুলো আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই গত অগাস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য টিকার লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দা ল্যান্সেটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাদের সবার শরীরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মতো অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং বড় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই অগাস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য টিকার লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সক্ষমতা এবং নিরাপত্তা প্রমাণ করার জন্য এই পরীক্ষাটি খুবই ছোট আকারের। রাশিয়ার কাজের ধরণ নিয়ে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, তারা হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে সমালোচনার বিপক্ষে পরীক্ষার ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। গত মাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে টিকাটি। তার এক কন্যাকেও টিকা দেয়া হয়েছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে রুশ ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনার কথা জানালেন মন্ত্রী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে রাশিয়া কি লুকোচুরি করছে? করোনাভাইরাসের 'রুশ টিকা‌র' পর সামাজিক মাধ্যমে পুতিন মিমের বন্যা রাশিয়ার টিকায় খোদ রুশদের কতটা আস্থা আছে? প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে? স্পুটনিক-ফাইভ নামের টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে গত জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে। দা ল্যান্সেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৮জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তিন সপ্তাহ পরে তাদের আবার বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮-৬০ বছরের মধ্যে। তাদের পরবর্তী ৪২ দিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়। তাদের সবার শরীরে পরবর্তী তিন সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা হলো মাথা ব্যথা এবং হাড়ের সন্ধিস্থলে ব্যথা। তৃতীয় দফায় বিভিন্ন বয়সের ও ঝুঁকি শ্রেণীর ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা করা হবে। সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে, সেই অ্যাডেনোভাইরাসের উপাদান ব্যবহার করে রাশিয়ার এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদক ফিলিপ্পা রক্সি বলছেন, যদিও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে 'উৎসাহব্যঞ্জক, যথেষ্ট ভালো' বলে মন্তব্য পেয়েছে, কিন্তু এখনো এই টিকার সফলতার জন্য পরিষ্কারভাবে অনেকদূর যেতে হবে। যদিও দ্বিতীয় দফায় সব অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। সেই ক্ষমতার ব্যাপারটি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় তিনি প্রশ্ন তুলে বলছেন, প্রাথমিক ফলাফল থেকে বলা যায় যে, স্বাস্থ্যবান মানুষজনের ভেতর টিকাটি ভালো কাজ করছে, যাদের বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে। কিন্তু বয়স্ক মানুষজন, যাদের বিশেষ স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, তাদের জন্য এই টিকাটি কতটা কার্যকর? ''এটা শুধুমাত্র তখনি জানা যাবে যখন অনেক বেশি মানুষের ওপর, গণহারে মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে এবং তাদের জানানো হবে না যে, তাদের আসল টিকা দেয়া হয়েছে নাকি ডামি টিকা দেয়া হয়েছে। তখন শুধুমাত্র বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন যে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ওপর টিকাটি কতটা কার্যকর,'' বলছেন বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা। সেই সঙ্গে এখানে আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি বলেন। টিকা তৈরিতে বহু গবেষণা চলছে সারা বিশ্বে। ''বিশ্ব জুড়ে এখন অনেক টিকার পরীক্ষা চলছে। কোন কোন স্থানে একটার চেয়ে আরেকটা ভালো কাজ করে, কোন কোন টিকা বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং নির্দিষ্ট মানুষজনের ভেতর ভালো করছে। সুতরাং সবার জন্য কোনটা ভালো হবে, সেটা জানা জরুরি।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান কী ইরান ইউরেনিয়াম মজুদ সীমার চেয়ে '১০ গুণ' বাড়িয়েছে ১৩টি বাঁশের সাঁকোকে ব্রিজ দেখিয়ে টেন্ডার: ফাঁসের পর বাতিল, তদন্ত শুরু চীন-ভারত সঙ্কট: মস্কোতেই কি সমাধানের সূচনা হতে পারে টিকা তৈরিতে বহু গবেষণা চলছে সারা বিশ্বে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেছেন, নভেম্বর ডিসেম্বর মাস থেকে দেশটি আরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া শুরু করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, বাজারে পুরোপুরি চালু করার আগে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ১৭৬টি টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে। এর মধ্যে মানব পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে ৩৪টি টিকা। তার মধ্যে আটটি রয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ধাপে।
করোনা ভাইরাস: রাশিয়ার তৈরি টিকায় ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল ছোট্ট সলমান সর্দার। উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল বিরাট হাঁ করে থাকা দুর্গার বাহন সিংহের মুখের মধ্যে দিয়ে ভেতরে কিছু দেখা যায় কিনা। কলকাতা বন্দরের কাছাকাছি মুসলমান-প্রধান খিদিরপুরের মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সেই পূজার খোঁজ বাইরের মানুষ খুব একটা রাখেন না হয়তো। কিন্তু পাড়ার মানুষের কাছে ঈদের মতোই উৎসবের সময় দুর্গাপূজা বা কালীপূজা। দুর্গাপূজা আদতে হিন্দু বাঙালীদের সবথেকে বড় উৎসব হলেও কালে কালে তা অন্যান্য ধর্মের মানুষের কাছেও হয়ে উঠেছে উৎসবের সময়। পূজার সময়ে হিন্দুদের মতোই মুসলমান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন - সকলেই মেতে ওঠেন উৎসবে। অনেক জায়গায় পূজার উদ্যোগেও জড়িয়ে থাকেন নানা ধর্মের মানুষ, যেমনটি মুন্সিগঞ্জের এই আয়োজন। তিন রাস্তার মোড়ে বেশ সাদামাটা প্যান্ডেল। বাহুল্য খুব একটা নেই। পূজার কদিন আগে প্যান্ডেল তৈরি করে তার পাশেই চলছিল দুর্গাপ্রতিমা গড়ার শেষ মুহূর্ত কাজ। সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল ছোট্ট সলমান সর্দার। উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল বিরাট হাঁ করে থাকা দুর্গার বাহন সিংহের মুখের মধ্যে দিয়ে ভেতরে কিছু দেখা যায় কিনা। সলমন বলছিল, "দুগ্গাপূজোয় খুব মজা হয়। ঠাকুর দেখতে যাই। ফুচকা আর আইসকিরিমের দোকান বসে, খাই - দোলনায় চাপি। আবার আমাদের পূজোয় চলে আসি।" এই পূজাটাকে সলমান যেমন ছোটবেলা থেকেই 'আমাদের পূজো' বলে ভাবতে শিখেছে, তেমনই নিজেদের পূজা বলেই মনে করেন পাড়ার সবাই। 'ঠাকুর নিয়ে আসতে যাই আমরা, প্যান্ডেলে ঠাকুর তোলা, দেখভাল - সবই মুসলমানরা করি হিন্দু ভাইদের সঙ্গে': শেখ বাবু "ষাট বছর ধরে এভাবেই পূজা হয়ে আসছে। আমাদের মামা, দাদাদের দেখেছি সকলে মিলে দুর্গাপূজা-কালীপূজা-ঈদ-মহররম পালন করতে, আমরাও সেভাবেই করি। আবার আমাদের জুনিয়ার যারা বড় হয়েছে, তারাও পূজার কাজে এগিয়ে আসে। চাঁদা তোলা, ঠাকুর নিয়ে আসা, ভাসান দেওয়া - সবেতেই সবাই থাকি," বলছিলেন পূজা কমিটির প্রধান প্রেমনাথ সাহা। মি. সাহা বলছেন, "এই তো মহরম গেল। আমরাও বাজার করেছি, খাবার বিলি করেছি, জল দিয়েছি। কখনও কোনও সমস্যা হয় না এ পাড়ায়"। "৯২ এর বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে যখন সারা দেশ জ্বলছিল, তখনও এ পাড়ায় তার আঁচ পড়ে নি।" পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনছিলেন পূজার আরেক উদ্যোক্তা শেখ বাবু। এগিয়ে এসে বললেন, "ঠাকুর নিয়ে আসতে যাই আমরা, প্যান্ডেলে ঠাকুর তোলা, দেখভাল - সবই মুসলমানরা করি হিন্দু ভাইদের সঙ্গে। কিন্তু প্রতিমার কাছে যারা পূজায় বসেন তারা হিন্দু, কারণ সেই কাজে তো মন্ত্র লাগে! আমি তো আর মন্ত্র জানি না!" শাস্ত্র বা মন্ত্র না জানলেও পূজার ব্যবস্থাপনায় পাড়ার মুসলমান ছেলেরাই সামনের সারিতে। প্যান্ডেল-কর্মীদের কাজ দেখভাল করছিলেন যে কয়েকজন, তাদেরই অন্যতম মুহম্মদ নাজিম। এই এলাকায় পূজার চাঁদা সংগ্রহের দায়িত্বেও থাকেন মুসলমান ছেলেরাই। "আসলে এটা রেডলাইট এলাকা তো। যেসব মানুষ এখানে থাকেন, বিশেষ করে মহিলারা, তারা কেউ একটা জাত বা ধর্মেরতো নয়। আবার যারা আসেন এ পাড়ায়, তারাও নানা জাত-ধর্মের। তাই আমাদের পাড়ায় জাতপাত-হিন্দু-মুসলিম ব্যাপারটাই নেই। একটা হিন্দু বাড়ির বাচ্চা আর মুসলিম বাড়ির বাচ্চা ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয় - তারা এই ভাগাভাগিটা ছোট থেকেই দেখে না। আমরাও যেমন ছোট থেকে এভাবেই বড় হয়েছি," বলছিলেন মুহম্মদ নাজিম। পূজা এসেই গেল বলতে গেলে, কিন্তু সবার কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়নি। তাই ভরদুপুরেই চাঁদার বিল নিয়ে বের হলেন কজন তরুণ। কানে এলো তারা দোকানীদের বলছেন, "বছরে একবারই দুর্গাপূজা। একটু বুঝেশুনে চাঁদাটা দেবেন কাকা। তবে আপনার যা মন চায় তাই দেবেন।" সেই চাঁদা তোলার দলেরই একজন মুহম্মদ সেলিম। বলছিলেন,"আগে আমাদের পূজায় আর্টিস্ট এনে শো হত। এখন খরচ এত বেড়ে গেছে, সেসব বাদ দিতে হয়েছে। পাড়া প্রতিবেশী আর রাস্তা থেকে চাঁদা তুলে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো ওঠে। তাই দিয়েই পূজা করতে হচ্ছে।" কিন্তু আর কতদিন নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে শুধু চাঁদা তুলে পূজা চালিয়ে যেতে পারবেন, সেই চিন্তা রয়েছে মুন্সিগঞ্জের এই পাড়ার বাসিন্দাদের। পরে কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখন আর ভাবতে চান না তারা, আগে এবারের পূজার কটাদিন তো আনন্দে কাটুক! ভিডিও: চট্টগ্রামে যেসব পূজা মন্ডপে নড়াচড়া করে প্রতিমা
কলকাতার যে দুর্গাপূজা আয়োজনের উদ্যোক্তা মুসলমানেরাও
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ফ্রান্সের ফাইনালে যাওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা এনগোলো কানটের কিন্তু বিবিসির ফার্নান্দো দুয়ার্তে বলছেন, যদিও শেষ ১৬তে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচে এমবাপে ঝড় তুলেছিলেন, তারপরও ফ্রান্স দলে তিনিই সবচেয়ে প্রভাবশালী ফুটবলার হয়ে উঠতে পারেন নি। বরঞ্চ মিডফিল্ডার এনগোলো কানটে এই ফ্রান্স দলের নীরব, নেপথ্য নায়ক। তার অসামান্য স্ট্যামিনা, নিয়ন্ত্রণ এবং নিখুঁত পারফরমেন্সের ওপর ভরসা করে কোচ দিদিয়ের দেশাম্প মাঠে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যেতে পারছেন। চুপচাপ আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন কানটে। দলের গ্রুপ ছবিতেও পগবার পেছনে ঢাকা পড়ে গেছেন। আর্জেন্টিনাকে যে ম্যাচে ফ্রান্স হারালো, সেখানে মেসিকে ঠিকমতো খেলতে দেননি কানটে। আর তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশাম্প। "যেভাবে সে বিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেয়, যেভাবে নিজেকে ঠিক জায়গা-মতো রাখতে পারে, তাতে দলে সে অত্যাবশ্যকীয়। সে কারণেই আর্জেন্টিনার সাথে ম্যাচে মেসিকে আপনারা কেউ তেমন দেখেননি।" কানটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে প্যারিসের লে'কিপ পত্রিকা গত সপ্তাহান্তে লিখেছে, "তার (কানটের) মতো একজন ফুটবলার যে তাদের দলে রয়েছে, সেজন্য ফরাসী ফ্যানদের উচিৎ প্রতিদিন নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করা।" কানটের মত ফুটবলারদের গুরুত্ব বোঝা খুব সহজ: আক্রমণভাগের সাফল্যের জন্য যা দরকার তা হলো কেউ একজন প্রতিপক্ষের গোলের সামনে তাদের বল যোগান দেবে, এবং একইসাথে রক্ষণভাগ সামলাবে। ফ্রান্স দলে, এমবাপে যেন স্বচ্ছন্দে খেলতে পারে, তা নিশ্চিত করে কানটে। ফরোয়ার্ডরা যখন গোল করে সুনাম কুড়ানোর যুদ্ধে লিপ্ত থাকে, তখন দুর্গ সামলানোর দায়িত্ব নেয় কানটে। মেসিকে ঠিকমত খেলতে দেননি কানটে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার অসামান্য দক্ষতা রয়েছে কানটের। রাশিয়ার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের আগ পর্যন্ত বল কেড়ে নেওয়া, প্রতিপক্ষের পাস লুফে নেওয়া এবং ট্যাকলিংয়ের বিচারে, কানটের পারফরমেন্স চির অসামান্য। ৫২ বার তিনি বল কেড়ে নিয়েছেন, যেটা গত তিনটি বিশ্বকাপে অন্য কোনো ফরাসী ফুটবলার পারেনি। আরও পড়ুন: লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ “আমার মনির আর চাকরির দরকার নাই” কেন আর কীভাবে লর্ড কার্লাইলকে ফেরত পাঠাল দিল্লি? বেলজিয়ামে মারওয়ান ফেলাইনি আকারে কানটের চেয়ে অনেক বড়, কিন্তু তার কাছ থেকেও চোখের পলকে বল কেড়ে নিয়েছেন কানটে সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত কানটে মাঠে দৌড়েছেন ৬২.৭ কিলোমিটার। একমাত্র রুশ মিডফিল্ডার রোমান জবিন তার চেয়ে কিছুটা বেশি দৌড়েছেন, যদিও কানটের চেয়ে আকৃতিতে তিনি প্রায় দ্বিগুণ। "এনগোলো সর্বত্র। তার শরীরে বোধ হয় ১৫টি ফুসফুস রয়েছে," পেরুর সাথে জেতার পর মন্তব্য করেন সহ-খেলোয়াড় পল পগবা। ইংল্যান্ডের ফুটবলমোদীরাও কান্টের কথা ভালোভাবে জানেন। ২০১৬ সালে লেস্টার সিটি যে প্রিমিয়ারশিপ জিতেছিল, তার অন্যতম কারণ ছিল কানটে। যদিও সেই সাফল্যের জন্য প্রশংসা জোটে প্রধানত রিয়াদ মাহরেজ এবং জেমি ভার্ডির, কিন্তু কানটেকে নেওয়ার জন্য বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রিমিয়িারশিপ জেতার পর লেস্টার সিটির জার্সি পড়ে কানটে খুবই সাদামাটা একটি আর্থ-সামাজিক-পারিবারিক অবস্থা থেকে উঠে এসেছেন কানটে। প্যারিসের শহরতলীতে জন্ম হয়ে বড় হয়েছেন। তার বাবা এসেছিলেন সাবেক ফরাসী উপনিবেশ মালি থেকে। ছোটোখাটো বলে, ফরাসী ফুটবল অ্যাকাডেমিগুলো তাকে পাত্তা দিত না। মাত্র ছয় বছর আগেও তিনি ফরাসী থার্ড ডিভিশন লীগে অখ্যাত ইউএস বোলন ক্লাবে খেলতেন। এরপর ২০১৫ সালে কান এফসি নামে অন্য একটি অখ্যাত ক্লাব থেকে তাকে কিনে আনে লেস্টার সিটি। চুপচাপ, ধর্মপ্রাণ মুসলমান কানটে দলের অন্যান্যদের তুলনায় একেবারেই সাদাসিধে। চেলসিতে তার সহ-খেলোয়াড়রা যখন স্পোর্টস কার চালায়, কানটে চালান একটি মিনি কুপার। খ্যাতিতে তার অস্বস্তি হয়। মাঠেই তিনি স্বস্তি পান। কোচ দেশাম্পের তুরুপের তাস কানটে ফ্রান্স যদি রোববার বিশ্বকাপ জেতে, তাহলে কানটে হবেন গোল্ডেন বলের প্রধান দাবিদার (টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার)। তবে দুঃখজনক-ভাবে সেই সম্ভাবনা কম, কারণ এসব পুরস্কার জোটে সাধারণত গোলদাতাদের। দুই একটি ব্যতিক্রম অবশ্য রয়েছে। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার ববি মুর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বহুদিন পর ২০০২ সালে ঐ সম্মান পেয়েছিলেন জার্মানির গোলকিপার অলিভার কান। তবে এবার কান্টেরও সেই আশা রয়েছে। কারণ, ২০০৬ সালে ইটালির ডিফেন্ডার কানাভারো ঐ সম্মান পেতে পেতেও পাননি। জিনেদিন জিদান ছিনিয়ে নেন সেই সম্মান। তবে পরপরই কানাভারোকে ফিফা বছরের সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দিয়েছিল
রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন এনগোলো কানটে ফ্রান্সের নেপথ্য নায়ক
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পুরনো ঢাকার শ্যামপুরে একটি ডাইং ফ্যাক্টরিতে পেইন্ট এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মজুত করা। বাংলাদেশের বিস্ফোরক পরিদপ্তর বলছে, বুধবার রাতে চকবাজারে যে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে সেটি বিভৎস রূপ পেয়েছে উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের কারণেই। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো: সামসুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, নিমতলীর ঘটনার পর এ ধরণের দাহ্য পদার্থের দোকান বা গোডাউন তখন সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। "আমরা তখন ২৯টি ক্যামিকেলের একটি তালিকাও করেছিলাম যেগুলো রাখা যাবেনা। এসব ক্যামিকেল উচ্চ মাত্রার দাহ্য পদার্থ। সাম্প্রতিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে মিলে আমরা অভিযানও চালিয়েছিলাম।" তিনি বলেন, গত বছরেও উচ্চ মাত্রার কেমিক্যাল রাখতো এমন প্রমাণ পাওয়ার পর অনেকের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সিটি কর্পোরেশন। "এমনকি যে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল সেটিতেও রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রাখার কোন অনুমতি ছিল না," তিনি জানান। "যেমন ধরুন প্লাস্টিক দানা। এর আগুন খুবই ভয়াবহ হয়। প্লাস্টিক ফাইবার কিংবা পারফিউম। ওখানে শত শত স্প্রে থাকলে আগুন লাগলে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?" এগুলোর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেও অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত চকবাজার রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের ব্যবসার একটি বড় কেন্দ্র। দোকান ছাড়াও এখানে এ ধরণের দ্রব্যের মজুত রাখেন অনেকে। যদিও ২০১০ সালের নিমতলীর দুর্ঘটনার পর এ ধরণের দ্রব্যের অনুমোদন হীন মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো কর্তৃপক্ষ। সামসুল আলম বলছেন, "নিষেধাজ্ঞা মানলে বা এটি বাস্তবায়ন করা গেলে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতোনা"। আরো পড়ুন: প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চকবাজারের আগুন ছবিতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুন ভয়াবহ আগুনে নিহত ৭৮, স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে? 'বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোকের ডেডবডি দেখতে পাচ্ছি' নিমতলী আগুনের পর পদক্ষেপ কী নেয়া হয়েছিলো? নিমতলীর আগুনের পর পুরনো ঢাকায় আবাসিক এলাকায় থাকা রাসায়ণিকের গুদাম সরিয়ে ফেলার জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ দিন ছিলো ওই বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর। এরপর এ সম্পর্কিত একটি টাস্কফোর্সের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। এরপর সিটি কর্পোরেশন থেকে বারবার অভিযান চালানো হলেও খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি উচ্চ মাত্রার দাহ্য পদার্থগুলোর। ফলে পুরনো ঢাকার চকবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় বেশ জমজমাটই রয়ে গেছে রাসায়নিক দ্রব্য ও প্লাস্টিক দানার ব্যবসা। পুরনো ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুনের দৃশ্য
চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: এতো দাহ্য পদার্থ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তর যা বলছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
স্যাটেলাইট চিত্রে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বর্তমান অবস্থান এখন পর্যন্ত অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি বলছে, এটি বাংলাদেশের দিকেই আসছে এবং বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বুধবার ভোরের দিকে। এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে উপকূলীয় ১৪টি জেলা থেকে হুঁশিয়ারি সংকেত সরিয়ে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল থেকে সোমবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে সুন্দরবন অংশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ দেশের সীমানায় আঘাত করতে পারে। "ঝড়ের মূল অংশ সুন্দরবন অংশে আসলেও এর প্রভাব পড়বে চারদিকেই। তবে এখনো এটি এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। তাই নানা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে," বলছিলেন মিস্টার রশিদ। তার মতে, ঝড়টি ভারতের দীঘা থেকে বাংলাদেশের সন্দ্বীপ এলাকার মধ্য দিয়ে যাবে এবং এর মূল অংশ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবন অংশে আসবে। ওদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে"। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯শে মে শেষরাত থেকে ২০শে মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন জেলার কী সংকেত: ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, চট্টগ্রাম। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদসংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'যখন ওর লাশ পাইছি মেয়েরে জড়ায়ে ধরেই ছিল' স্মৃতিতে সাইক্লোন সিডর সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে আম্পান কী ক্ষতি করতে পারে? আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান যখন আঘাত হানবে তা অতি প্রবল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরণের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট হয়। ঘরবাড়ি, গাছ-পালার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। তবে বাংলাদেশের কোন কোন জেলার উপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন মি. আহমেদ। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মি. ওয়াজেদ বলছেন, এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়টি হয়তো দেশের উত্তর-পশ্চিম দিক অর্থাৎ সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানবে। তিনি বলেন, আঘাত হানার সময় যদি ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বা তার উপরে থাকে তার মানে হচ্ছে এটা বড় ধরণের একটা ঘূর্ণিঝড়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে দুই ধরণের ক্ষতি হয়। একটা হচ্ছে প্রাণহানি। আরেকটা হচ্ছে ঘরবাড়ি ও গবাদিপশুর ক্ষতি। অতীতের বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রাণহানির সংখ্যা কমে গেছে। ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায়। প্রায় একই ধরণের আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ছিল ২০০৭ সালে সিডর। সেখানে মানুষের মৃত্যু হার তুলনামূলক কম ছিল। ওই ঘূর্ণিঝড়ে ৩ হাজার ৪০৬ জন মারা গিয়েছিল। এরপরে বাংলাদেশে আরো বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫শে মে আইলার আঘাতে মারা যায় ১৯০জন। ২০১৩ সালে মহাসেনে মারা যায় ১৮ জন। "এরপরে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কখনোই দুই সংখ্যার বেশি হয়নি এবং সেটি ২৫ এর উপরে যায়নি," বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। অন্যদিকে আম্পানে বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকলে বাড়ি-ঘর এবং গাছপালা পড়ে যাবে এবং এতেও ক্ষতি হতে পারে। উপকূলীয় এলাকার বেশিরভাগ ঘর-বাড়ি কাঁচা হওয়ার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অধিকাংশই ভেঙ্গে পড়ে কী প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে? ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে প্রস্তুতি হিসেবে এরইমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ স্কাউটস এবং সিপিসি এর মধ্যে এর আগেই বৈঠক হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে প্রথম যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়া হয় সেটি হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা। তবে এবার যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে কোভিড-১৯ এর কারণে, সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হবে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কে কোন আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে তারও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে, প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকা স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ব্যবহার করা হবে এবং বাড়ির কাছে থাকা স্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরইমধ্যে যেহেতু চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে তাই, মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচারের কাজ করছে যাতে মানুষ সচেতন হয়। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা দুর্যোগের সময়ে কাজ করেন। পরবর্তীতে বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হবে। সেখানে খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, পানীয় জলের ব্যবস্থা এগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান সিনিয়র সচিব। "এখন প্রিপারেশন স্টেজে আছি, পরে এক্সিকিউশনে যাবো, পরবর্তী সিগনালের অপেক্ষায় আছি," বলেন মি. কামাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইক্লোন শেল্টারে যারাই আসুক তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করার মতো ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: 'অতি প্রবল' সাইক্লোনটি আসছে বাংলাদেশেই, ৭ নম্বর বিপদসংকেত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বন্দুকধারীর হামলা থেকে বাঁচতে পালানো মানুষ জুতা ফেলে রেখে যায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলাটি ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময় স্থায়ী হয়। গুলির শব্দ শোনার কিছুক্ষণ পরই ঐ অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তারা ২৪ বছর বয়সী কনর বেটসকে ধরাশায়ী করে। বন্দুকধারী বেটস যখন জনাকীর্ণ একটি বারে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে গুলি করে। ডেটনের পুলিশ প্রধান রিচার্ড বিয়েল বলেন, বেটস যদি বারের দরজা দিয়ে ঢুকতে পারতেন, তাহলে 'ব্যাপক' প্রাণহানি হতে পারতো। তবে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। ঐ ঘটনায় অন্তত ২৭ জন আহত হয়। টেক্সাসের এল পাসোতে বন্দুক হামলার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বন্দুক হামলা ছিল সেটি। পুলিশ কর্মকর্তা বিয়েল জানান, স্থানীয় সময় রাত ১টা বেজে ৫ মিনিটের দিকে বেটস তার প্রথম গুলিটি করেন। এরপর আরো কয়েক ডজন রাউন্ড গুলি চালান তিনি। নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয় নেড পেপার্স নাইটক্লাবের দরজা দিয়ে দৌড়ে ভেতরে ঢুকছে মানুষজন। তার কয়েক সেকেন্ড পরই বন্দুকধারী বেটসকে দেখা যায় বারের দরজার দিকে দৌড়ে যেতে। দরজার কাছে পৌঁছাতেই পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে। বেটসের গায়ে বর্ম ছিল এবং তার হাতের .২২৩ ক্যালিবারের অ্যাসল্ট রাইফেলের জন্য অতিরিক্ত গুলিও ছিল। পুলিশ প্রধান মি. বিয়েল বলেন, "ঐ ব্যক্তি যদি এসব অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নেড পেপার্স বারের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে পারতো, তাহলে হতাহতের সংখ্যা এবং ভয়াবহতা আরো ব্যাপক হতো।" পুলিশ জানিয়েছে, রাইফেলটি টেক্সাস থেকে অনলাইনে কেনা হয়েছিল। বন্দুকধারীর অতীত ইতিহাস যাচাই করে দেখা যাচ্ছে যে, বৈধভাবে ঐ বন্দুক কেনার ক্ষেত্রে তার কোন বাধা ছিল না। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা, নেতারা গৃহবন্দী, বন্ধ স্কুল কলেজ ৮০ টাকার মশা প্রতিরোধক ক্রিম বিক্রি ৫০০ টাকায় ডেঙ্গু: জ্বর নেমে গেলে রোগীর পরিচর্যা কেমন হবে হামলাকারী হিসেবে কনর বেটসকে শনাক্ত করা হয়। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীর বোন ২২ বছর বয়সী মেগান বেটসও ছিলেন। "প্রথম যে কয়েকজনের গায়ে গুলি লাগে, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন," বলেন মি. বিয়েল। কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনই কোন ধারণা করা যাচ্ছে না। বর্ণ বা জাতিবিদ্বেষ এই হামলার কারণ হতে পারে কি-না - এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান মি. বিয়েল বলেন, হামলার পেছনে যে এরকম 'পক্ষপাতী উদ্দেশ্য' রয়েছে - তা আসলে বলার মত না। দ্যা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ধরণ এবং হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কাজ করে। চারজন বা তার চেয়ে বেশি মানুষ বন্দুক হামলায় মারা গেলে সেই ঘটনাকে নথিবদ্ধ করে তারা। ঐ সংস্থার মতে, ওহাইয়োর ঘটনাটি ২০১৯ সালের ২৫১তম বন্দুক হামলার ঘটনা। হামলাকারী সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? গণমাধ্যমে ওহাইয়োর ঘটনায় বন্দুকধারীর নাম প্রকাশিত হওয়ার ঘণ্টা-খানেকের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে হামলাকারী ২৪ বছর বয়সী কনর বেটস, যিনি ওহাইয়োর বেলব্রুকের বাসিন্দা। রবিবার পুলিশ তার বাসাতে তল্লাশী চালায়। শুরুতে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছিল যে, বন্দুকধারীর বোনকে একটি গাড়িতে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে পুলিশ জানায়, গাড়িতে যেই পুরুষটির সাথে ঐ নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায় সে 'সন্দেহভাজনের সঙ্গী।' "হামলাকারীর চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না," বলেন মেয়র ন্যান হোয়েলি। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করছে এফবিআই কর্মকর্তারা।
ওহাইয়ো হামলা: নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীর বোনও ছিলেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
যে টি-শার্টটি তার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে তার পরনের টি-শার্টটির ছবি সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় কিডনিটি তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন। ওই পিতার নাম রবার্ট লেবোইৎস। থাকেন নিউ জার্সিতে। চার বছর ধরে একজন কিডনি দাতার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। হাসপাতাল বা অন্য কোনো জায়গা থেকে বহু চেষ্টা করেও তার সঙ্গে ম্যাচ করে এরকম একটি কিডনি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। তখন তিনি বিষয়টি নিজের হাতেই তুলে নেন। তখন একটি টি-শার্টের পেছনে ও সামনের দিকে একটি শ্লোগান ছাপেন- 'একটি কিডনি প্রয়োজন।' তার নিচে নিজের টেলিফোন নম্বরও লিখে দেন তিনি। তারপরেই বদলে যায় সবকিছু। গত সপ্তাহে তার শরীরে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন কিডনি-গ্রহীতা মি লেবোইৎস এবং কিডনি-দাতা রিচি সালি তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সেরে উঠছেন। আরো পড়ুন: ‘যখন বুঝতে পারলাম আমার বিয়ে হয়েছে এক নপুংসকের সঙ্গে’ রব লেবোইৎসের বয়স ৬০ বছর। তিনি বলেন, "আমি শুধু আমার সন্তানদের সাথে আরো একটু বেশি সময় কাটাতে চেয়েছি। আর এখন আমি হয়তো আরো ২০ থেকে ২৫ বছর সময় পাবো।" "আমি কি রকম ফিল করছি সেটা আমি কথায় বোঝাতে পারবো না। আমার নায়ক হচ্ছেন রিচি সালি।" মাত্র ১২ বছর বয়সে মি. লেবোইৎসের কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়েছিলো। তারপর থেকে তার কিডনির অবস্থা ধীরে ধীরে আরো খারাপ হতে থাকে। মাত্র চার বছর আগে তাকে বলা হয়েছিলো বেঁচে থাকতে হলে তাকে প্রত্যেক সপ্তাহে তিনবার কিডনি ডায়ালিসিস করাতে হবে। শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত তাকে তার কিডনিও প্রতিস্থাপন করতে হবে। মি লেবোইৎসের রক্তের ধরন এবং যেহেতু তার দুই ছেলেরও কিডনি সমস্যা আছে তাই তারাও তাকে কিডনি দিতে পারবে না। "তখন আমি মৃত ব্যক্তি যারা কিডনি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের তালিকা খতিয়ে দেখি। কিন্তু সেভাবে আমার সঙ্গে ম্যাচ করে এরকম একটা কিডনি খুঁজে পেতে হলে হয়তো ১০ বছর সময় লাগতো।" কিডনি দাতা রিচি সালির সাথে রবার্ট লেবোইৎস তখন তিনি এই সমস্যা সমাধানের জন্যে অন্য একটি পথ খুঁজে বের করেন। নিজেকেই তখন তিনি একটি চলন্ত বিলবোর্ডে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। "আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে ডিজনি ওয়ার্ল্ডে যেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু আমি তখন ভেবে দেখলাম আর কোথায় কোথায় আমি যেতে পারি যেখানে গেলে আরো বহু মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হবে।" "তখন আমি টি-শার্টটি তৈরি করি।" কিন্তু সবকিছু বদলে যাওয়ার সূচনা ঘটে তখনই যখন একটি দম্পতি তার কাছে জানতে চান ফেসবুকে দেওয়ার জন্যে তারা তার একটি ছবি তুলতে পারেন কিনা। তারপর এক সপ্তাহের মধ্যে ওই টি-শার্ট পরিহিত তার ছবিটি ৯০,০০০ বারেরও বেশি শেয়ার করা হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাকে সেলফি তুলতে শেখালেন "এটা ছিলো দারুণ এক ঘটনা। মাত্র সাতদিনে আমি ৩০০টির মতো কল ও টেক্সট মেসেজ পাই," বলেন মি. লেবোইৎস। কিন্তু মি. সালির মেসেজ পেতে তার আরো একটু সময় লেগেছিলো। পাঁচ সন্তানের সাথে ডিজনি ওয়ার্ল্ডে রবার্ট লেবোইৎস তারপর মি. সালিসহ আরো তিনজনের শরীর পরীক্ষা করে দেখা হয়। তিনি ছাড়া বাকি সবাই বাতিল হয়ে যান বিভিন্ন মেডিকেল কারণে। শুধুমাত্র মি. সালির সাথেই তার কিডনি ম্যাচ হয়। তারপর ১৮ ঘণ্টার এক বাস ভ্রমণে মি. সালি ইন্ডিয়ানা থেকে নিউ ইয়র্কে আসেন তার কিডনি দান করতে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করতে তখন দু'সপ্তাহের মতো সময় লেগেছিলো। "মানবিকতার নতুন এক নাম আমি খুঁজে পেয়েছি আর সেটা হলো রিচি সালি," বলেন মি. লেবোইৎস। তিনি জানান, কিডনি দান করার ব্যাপারে তিনি এখন লোকজনকে উৎসাহিত করতে চেষ্টা করবেন। "আপনার যদি দুটো কিডনি থাকে, তার একটি আপনি দিয়ে দিতে পারেন। তারপরেও আপনি বেঁচে থাকতে পারেন ১০০ বছর। একই সাথে বাঁচাতে পারেন আরো একটি জীবন," বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে 'কিডনি চাই' লেখা যে টি-শার্টটি একজনের জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
কুতুপালংয়ের একটি রোহিঙ্গা শিবির, ছবিটি গত সেপ্টেম্বরে তোলা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে নজর না দিয়ে মিয়ানমার সরকার অসত্য এবং বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে এ ধরণের প্রচারণা বন্ধ করার আহবান জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারেরে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে আজারবাইজানে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন বা ন্যাম এর সম্মেলনে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আবারও রোহিঙ্গা সমস্যার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ন্যাম সম্মেলনে মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী চিয়াও তিন্ত সোয়ে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় নিপীড়ন এবং জাতিগত নিধনের কথা বলে রোহিঙ্গা সংকটের ভিন্ন চেহারা দেয়ার চেষ্টা করছে। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবার শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরও পড়ুন: 'শীতের আগেই এক লাখ রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে' নতুন শর্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ করবে: মিয়ানমারের মন্ত্রী 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় নিপীড়ন এবং জাতিগত নিধনের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এটাই বাস্তবতা। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকেই গেছে বলে মিয়ানমার যে বক্তব্য দিয়ে আসছে, সেখানে দেশটি অভিযোগ তুলেছে যে, ১৯৭১ সালে তারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে গিয়েছিল। মিয়ানমারের এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে বর্ননা করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রলায় বলেছে, মিয়ানমার এখনও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নিধনের তাদের কৌশল বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে, আরসা'র তথাকথিত হামলার কথা বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধ অপরাধকে বৈধতা দেয়া যায় না। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিবিরে আরসা'র কোন তৎপরতা নেই বলে বাংলাদেশ আবারও উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে, সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থার মধ্যে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা চালানো সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশ মনে করে। বাংলাদেশ বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই। সেকারণে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তারা যথাযথ পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, মিয়ানমার বাংলাদেশকে অসহযোগিতা করছে এবং অসত্য ও ভিত্তিহীন প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। মিয়ানমার সংকট সমাধানের চেষ্টা না করে বরং তা আড়াল করতে চাইছে। সেজন্য মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলে বাংলাদেশ মনে করে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ তৈরির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সমাধানের চেষ্টায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সর্বশেষ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন দ্বিপাক্ষিক চেষ্টাকে বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ বিভিন সময় মিয়ানমারের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিয়েছে। ফলে তাতে কঠোর অবস্থান প্রকাশ পায়নি। কিন্তু এখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে বেশ শক্ত অবস্থানের প্রকাশ ঘটেছে।
রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমার বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
দিল্লিতে মুখোমুখি অমিত শাহ ও মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করে তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে আজ কোনও কথা হয়নি ঠিকই - কিন্তু তার সরকার রাজ্যে কিছুতেই এনআরসি চালু করতে দেবে না। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বলছে রাজ্য সরকার কী বলছে তাতে কিছু যায় আসে না - গোটা দেশের স্বার্থেই আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক তালিকা তৈরি করা হবে। একজন বলছেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই এবার এনআরসি চালু হবে, অন্যজনের হুমকি কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক তালিকা করতে দেব না। সেই দুজন, যথাক্রমে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রথম কোনও সরকারি বৈঠক হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-র বিরুদ্ধে কলকাতায় মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে পদযাত্রা। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ নর্থ ব্লকে সেই বৈঠক শেষে মিস ব্যানার্জি বলেন, "আসামে যেভাবে এনআরসি থেকে উনিশ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে আমি একটা চিঠি দিয়ে ওনাকে বলেছি এটা মোটেও ঠিক হয়নি।" "এদের মধ্যে অনেক বাঙালির নাম বাদ গেছে। বাংলাভাষীরা যেমন বাদ পড়েছেন, হিন্দিভাষী বা গোর্খারাও বাদ পড়েছেন। হিন্দুরাও আছেন, মুসলিমরাও আছেন।" "এমন কী অসমিয়া অনেক লোকের নাম পর্যন্ত তালিকায় নেই।" "কাজেই আমরা মনে করি এই লিস্টটা ভুলে ভরা। মন্ত্রীকে আমরা বলেছি যাদের নাম তালিকায় নেই তাদের নাম সেখানে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হোক - কারণ এই ভারতীয়রা একটা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে!" তবে তার নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করা নিয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। আসামে এক সংবাদ সম্মেলনে এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল করছেন অমিত শাহ। ফাইল ছবি তবে পাশাপাশি মিস ব্যানার্জি একথাও বলতে ভোলেননি, "আমাদের অবস্থান তো সবারই জানা - যে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-র কোনও প্রয়োজন নেই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও একই কথা বলছেন।" "আমাদের বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন দিয়ে শুনেছেন, বিষয়টা দেখবেনও বলেছেন।" মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকের পর অমিত শাহর মন্ত্রণালয় অবশ্য তা নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি, ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্যও মেলেনি। তবে বিজেপির দাবি, এই বৈঠকের পরও এনআরসি নিয়ে তাদের অবস্থান বিন্দুমাত্র পাল্টাবে না। পশ্চিমবঙ্গে দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভারতী ঘোষ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার - এদেশের কোনও বৈধ নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় করা হবে না, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না কিংবা নতুন আশ্রয়ও তাদের খুঁজতে হবে না।" "এমন কী, প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ বারবার বলছেন বিদেশ থেকে আসা হিন্দুদের আমরা শরণার্থীর মর্যাদা দিই, তারাও এদেশে থাকতে পারবেন।" সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতী ঘোষ তাহলে কি এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আমলই দিচ্ছে না? ভারতী ঘোষের জবাব, "মমতা ব্যানার্জি কী বললেন তা নিয়ে বিজেপি বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়। দেশের জন্য কোনটা ভাল তা সবাই জানে, আমরা সেটাই করব।" "এই মমতা ব্যানার্জিই ২০০৪ সালে রাজ্যে এনআরসি চেয়ে পার্লামেন্টে হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন, স্পিকারের দিকে একতাড়া কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন।" "আর আজ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তিনি এনআরসি রুখতে চান। আসলে তিনি একজন চরম সুবিধাবাদী।" মমতা ব্যানার্জি এদিন বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক খুব জরুরি। বিজেপি আবার সেই সীমান্তের দিকে আঙুল তুলেই বলছে - সেই পথে যারা অনুপ্রবেশ করছেন তাদের নিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বন্ধ করতেই পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে এনআরসি চালু হবে।
এনআরসি নিয়ে অমিত শাহকে কী বললেন মমতা?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সংবাদ সম্মেলনে একরামুল হকের খুনের বিচার চাইছেন তার পরিবার। দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশ হয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযানে কক্সবাজারের টেকনাফে গত ২৬শে মে মি. হক নিহত হন। তাঁকে বাসা থেকে র‍্যাব এবং ডিজিএফআই এর স্থানীয় দু'জন কর্মকর্তা ডেকে নেওয়ার পর হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। এদিকে, র‍্যাব বলেছে, প্রকাশ হওয়া অডিও খতিয়ে দেখছে বাহিনীটির সদর দপ্তর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলিবর্ষণের অন্যান্য ঘটনার মতো এই ঘটনাও তদন্ত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে কণ্যাসহ আয়েশা বেগম মাদক বিরোধী অভিযানে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে অডিও ইউটিউবে প্রকাশ হওয়ার পর তা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়েছে। তার পরিবার বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সময়কার ফোনকলের এই অডিও সাংবাদিকদের শুনিয়েছে। সেই অডিওতে শোনা যাচ্ছে যে, একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনার সময় এবং তার আগমুহুর্তে ঘটনাস্থলে মোবাইল ফোনে তিনবার কল এসেছিল। শেষ ফোন কলটি রিসিভ হলেও ঘটনাস্থল থেকে ফোনটিতে কেউ উত্তর দিচ্ছে না। যিনি ফোন করেছেন, প্রথমে তার কিছুটা কথা আছে। কিন্তু পরে ঘটনাস্থল বা সেই প্রান্ত থেকে একটা ভয়াবহ পরিবেশের চিত্র পাওয়া যায় এই অডিওতে। একরামুল হকের স্ত্রী আয়শা বেগম বিবিসিকে বলেছেন,ঘটনার আগমুহুর্তে তার দুই মেয়ে প্রথমে মি: হকের মোবাইল ফোনে কল করে তার সাথে অল্প সময় কথা বলেছিল। এই কথোপকথনে পরিস্থিতি গুরুতর মনে হওয়ায় সাথে সাথে আয়শা বেগম নিজে ফোন করেন। তার ফোন কলটি রিসিভ করা হয়, কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কোনো জবাব পাননি। তিনি গুলি এবং ঘটনাস্থলের সব শব্দ শুনতে পেয়েছেন। "আমার মেয়ে কথা বলেছিল ওর আব্বুর সাথে। তারপর মেয়ে বললো, আম্মু আব্বুকে কান্না কান্না গলায় কথা বলছে। তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিলাম। আবার ফোন দিলাম।সেখানে আমার হাসবেন্ড বলতেছে, লোকটি নাজিরপাড়ার লোক হবে, আমি না। তারপর র‍্যাব একজন বলতেছে, এটাতো এটা না। আরেকজন র‍্যাব বলতেছে, আপনারা এটা। তারপরে শ্যুট করে দিছে একজন। তারপরে বলছে, ওনাকে শেষ করেছি। এখন বাইকে শ্যুট করো। তখন গাড়িতে শ্যুট করে দিছে ওনারা।" পরিবারের সাথে মো. একরামুল হক। আরও পড়তে পারেন: ইসরায়েল কি রাশিয়া-ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে? 'বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ক্ষমা করার কারণ না বলায় প্রশ্ন ওঠে' ছিনতাইকারী বানরের হাতে লক্ষ টাকা "আমার বাচ্চারা কান্না করতেছে যে, আমার আব্বুকে এরকম নির্মমভাবে হত্যা করা হলো কেন? উনিতো কিছু করে নাই।" আয়শা বেগম প্রকাশিত অডিওতে কন্ঠগুলো তাদের পরিবারের বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, র‍্যাব সদর দপ্তর এই অডিও খতিয়ে দেখছে। আয়শা বেগম অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীকে ডিজিএফআই এবং র‍্যাবের স্থানীয় দু'জন কর্মকর্তা ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। "র‍্যাব দুই মাস যাবৎ জায়গা নেবে বলে আমার হাসবেন্ডকে জায়গা দেখাতে বলতেছে। উনিতো তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। সেই সুবাদে ওনারা বলতেছে, আপনার পরিচিত থাকবে, আমাদের একটা জায়গা দেখান। অনেকবার জায়গা দেখতে গেছে র‍্যাবরা। জায়গাও দেখছে।" তিনি আরও বলেছেন, "এই জায়গা দেখার কথা বলে সেদিন ২৬ তারিখে র‍্যাবও ফোন করছিল। আর টেকনাফের ডিজিএফআই এর মেজরও ফোন করছিল ওনার কাছে। দুপুর থেকে ডাকতেছে। বলতেছে যে, আসেন না। উনি বলছে,আমি আপনাদের বলছি না যে দুপুরের পর আসবো।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য "ওরা ফোন করে করে ডাকছে। বলছে আসতে হবে। তারপর তারাবির পর ওনাদের কাছে গেছে। এভাবে কেন আমার স্বামীকে খুন করা হলো?" ডিজিএফআই এর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও কোন মন্তব্য করেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অডিও তিনি শোনেননি। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলিবর্ষণের অন্যান্য ঘটনা যেভাবে তদন্ত হয়, এটিও সেভাবে তদন্ত হবে। "দেখুন ঐ অডিও আমি শুনিনি।আমি না দেখেতো বলতে পারবনা যে, কি অডিও বের হয়েছে। এটা আমরা সবসময় বলছি, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অন্যায়ভাবে কিছু করে থাকে, তারতো একটা ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল এনকোয়ারি হচ্ছে এবং হবে। সেখানে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তারও বিচার হবে। সেটা আমরা সবসময় বলে আসছি। কিন্তু এটা অডিও না দেখে আমি বলতে পারবোনা।" কিন্তু একরামুল হকের পরিবার অভিযোগ করেছে, র‍্যাব এবং ডিজিএফআই এর স্থানীয় দু'জন কর্মকর্তা তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। প্রকাশিত অডিওতেও একরামুল হকের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকার দাবি করা হয়েছে। এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,"অভিযোগ নেই, সেগুলো আমরা এখন, মানে আমার জানামতে, তার তিনটি- মাদক অধিদপ্তর থেকে যে লিস্ট বানিয়েছে, সেটার ভেতরে তার নাম আছে। সেটাও আমি দেখেছি। আরও একটি সংস্থার লিস্টে তার নাম ছিল। এ সবগুলো নিয়ে তদন্ত হবে। তারপর বলতে পারবো যে, কে দোষী?" তবে কক্সবাজারের এই ঘটনা আলাদাভাবে তদন্ত হবে কিনা, সেই প্রশ্নে তিনি বলেছেন, "এটা সব গুলিবর্ষণের ঘটনাতেই তদন্ত হয়।" একরামুল হক স্থানীয় যুবলীগেরর সভাপতি ছিলেন দীর্ঘসময়। কক্সবাজারের পৌর মেয়র এবং সেখানকার ‌আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এর আগে ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান। তিনি মনে করেন, "এ ধরণের ঘটনার ঘটিয়ে মাদকবিরোধী পুরো অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
বাংলাদেশের টেকনাফে কাউন্সিলর একরাম 'হত্যার' অডিও: সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বাঁশের ব্যাট হাতে ড. ডার্শিল শাহ। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তৈরি করেছেন বাঁশের ক্রিকেট ব্যাট। ল্যামিনেটেড বাঁশের এই ব্যাট বর্তমানে চালু উইলো কাঠের তৈরি ব্যাট থেকে বেশি মজবুত, দামে সস্তা এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না বলে বলছেন গবেষকরা। এর 'সুইট স্পট' অর্থাৎ ব্যাটের মধ্যভাগে বলের সাথে সংযোগের জায়গাও অনেক বেশি বলে দাবি করছেন গবেষকরা। "এই বাঁশের ব্যাট ব্যাটসম্যানদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে,' বলছেন কেমব্রিজের সেন্টার ফর ন্যাচারাল মেটেরিয়াল ইনোভেশন-এর ড. ডার্শিল শাহ। "বাঁশের ব্যাটের সুইট স্পট দিয়ে ইয়র্কার থেকে চার মারা কোন ব্যাপারই না। সব ধরনের স্ট্রোকেই এটা কাজে দেবে।" চীনের একটি মোসো বাঁশের ঝাড়। ক্রিকেটের আরও খবর: ড. শাহ এবং বেন টিঙ্কলার ডেভিস মিলে এই বাঁশের এই প্রোটোটাইপ ব্যাট তৈরি করেছেন। জার্নাল অফ স্পোর্টস এঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি সাময়িকীতে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, উইলো কাঠের তুলনায় বাঁশের ব্যাট ২২% বেশি মজবুত। ফলে ব্যাটে বল লাগার পর এর গতি যায় বেড়ে। উইলোর তৈরি ব্যাটের তুলনায় বাঁশের ব্যাট ৪০% বেশি ভারী। তবে গবেষকরা বলছেন ব্লেডের ওজন তারা কমিয়ে আনতে পারবেন। ভারতের কাশ্মীরে তৈরি হচ্ছে উইলো কাঠের ব্যাট। উইলো ব্যাটের সাথে বলের সংযোগের পর ব্যাটসম্যান যে কম্পন অনুভব করেন, বাঁশের ব্যাটের ক্ষেত্রে কোন হেরফের ঘটবে না বলে তারা বলছেন। উইলো কাঠের সঙ্কট ভাল মানের উইলো কাঠ ক্রমশই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, উইলো গাছ বড় হতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগে। সেই তুলনায় 'মেসো' জাতের বাঁশ পাকতে সময় নেয় পাঁচ থেকে ছয় বছর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এই বাঁশ প্রচুর জন্মে। বাঁশের ব্যাট দিয়ে প্র্যাকটিস করছেন বেন টিঙ্কলার-ডেভিস। "ক্রিকেট এমনিতেই আপনাকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যায়। কারণ আপনি কয়েক ঘন্টা ধরে থাকেন সবুজ মাঠে," বলছেন সহ-গবেষক বেন টিঙ্কলার ডেভিস, "কিন্তু টেকসই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই খেলা আরও বেশি পরিবেশ-বান্ধব হয়ে উঠতে পারে।" "আমরা এক সুবর্ণ সুযোগ খুঁজে পেয়েছি যেটা ব্যবহার করে স্বল্প আয়ের দেশগুলো এখন সস্তায় ব্যাট তৈরি করতে পারবে।" ক্রিকেট আইনে পরিবর্তন ঘটবে? ঐতিহ্যগতভাবে ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুন তৈরি করে আসছে লন্ডনের মার্লিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ব্যাটের গঠন প্রকৃতিও নির্ধারণ করেছে এই ক্লাব। সেই আইন অনুযায়ী, ক্রিকেট ব্যাটের ব্লেড তৈরি হতে হবে শুধুমাত্র কাঠ দিয়ে। ফলে ভবিষ্যতে বাঁশের ব্যাট নিয়ে পিচে নামতে হলে এমসিসির সেই আইনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কারণ বাঁশ কাঠ নয়, এটা বিশেষ জাতের ঘাস। ড. ডার্শিল শাহ বলছেন, এনিয়ে এমসিসিকেই ভাবতে হবে। তবে তিনি মনে করেন, বাঁশের ব্যবহার নিয়ে খুব একটা বিতর্ক হবে না। কারণ ব্যাটের হাতলে বেত ব্যবহার করা হয়, যেটি বাঁশেরই একটি জাত। ক্রিকেটে বাঁশের ব্যাট ব্যবহার সম্পর্কে এমসিসির তরফে এখনও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
বাঁশের ব্যাট হতে যাচ্ছে 'ক্রিকেটারদের স্বপ্ন'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারানোর পর মাঠেই 'নাগিন নাচ' জাতীয় দলের খেলা দেখা নিয়ে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমর্থকরাও। তবে এবারের এই ফাইনালের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে যাচ্ছে 'নাগিন নাচ' বা এ নাচ নিয়ে নানা ধরনের স্ট্যাটাস কিংবা ছবিতে। এবারের এই ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ পর্যায়ে এসে 'নাগিন নাচ' রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে ফেসবুকে। সমর্থকদের অনেকেই ঘরে কর্মস্থলে একা কিংবা দলবেঁধে 'নাগিন নাচ' অর্থাৎ মাথার ওপরে দু হাত তুলে সাপের ছোবলের মতো করে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন দলের প্রতি সংহতি জানাতে। ফারুক শাহ নামে একজন লিখেছেন, "আজ নাগদ্বীপে টাইগাররা নাগিন নাচ নেচেই ছাড়বে! কি বলেন..?" শিমুল কবির লিখেছেন, "চলিতেছে হৈ চৈ নাগিন ড্যান্স উৎসব আজকেও দেখবো আশা করি"। রাশেদ রুদ্র লিখেছেন, "কেন যেন মনে হচ্ছে জাতি আজও নাগিন ডান্স দেখবে"। কেউ কেউ আবার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে এটিই না বাংলাদেশের ট্রেন্ডে পরিণত হয়। ফেসবুকে অনেকেই এ ধরণের পোস্ট দিচ্ছেন তাদের মতে টাইগার ব্রান্ডই বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযুক্ত, আর আজকের ম্যাচ জিতলেও যদিও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নাগিন নাচ দেখায় তাহলে বিশ্ব মিডিয়া সেটিই লুফে নিতে পারে। নাগিন নাচ এলো কোথা থেকে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফিতে মুশফিকুর রহিম দলকে জেতানোর পর এমন নাচেন।আর এরপরই এটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের উইকেট হারানোর সময়গুলোতে নাগিন নাচের ভঙ্গি করতে দেখা গেছে গ্যালারিতে শ্রীলংকার সমর্থকদের। পরে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশের জেতার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড় ম্যানেজার সবাইকেই এ নাচ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। তবে এ নাচের সূচনা হয়েছিলো অনেক আগে নাজমুল ইসলাম অপুর মাধ্যমে । যিনি এবার দলে থাকলেও শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটিং বোলিং কিছুই পাননি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি আসরে তিনি এই নাচ প্রথম নাচেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পরেও নাজমুল উইকেট পাওয়ার পর এমন নাচ দেখান। আজ বাংলাদেশ ভারত ফাইনালের ফলাফল যাই হোক নাগিন নাচের বড় প্রদর্শনীই দেখা যেতে পারে স্টেডিয়ামে বা স্টেডিয়ামের বাইরে। বাংলাদেশ জিতলে যেমন এমন নাচ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে তেমনি হারলেও এটি দেখা যেতে পারে মাঠে উপস্থিত শ্রীলংকান সমর্থকদের মধ্যেও। কারণ বাংলাদেশের কাছে হেরে শ্রীলংকা ফাইনালে উঠতে না পারায় তাদের সমর্থকরা হয়তো আজ ভারতকেই সমর্থন করবেন।
ফাইনালকে ঘিরে 'নাগিন নাচে'র উন্মাদনা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় একমাস ধরে ১২ লাখ মানুষের দৈনিক শারীরিক কার্যক্রমের তালিকা করেন এবং তাদের মানসিক অবস্থা বর্ণনা করেন। গবেষণায় পাওয়া যায়, ব্যায়ামের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ব্যায়াম না করা ব্যক্তিদের চেয়ে প্রতিমাসে ১.৫টি কম 'বাজে দিন'এর অভিজ্ঞতা করে থাকেন। সবচেয়ে বেশী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হয় যারা দলগত খেলা, সাইক্লিং এবং ফুসফুস ও হার্টের ব্যায়াম করে থাকেন। সব বয়স ও লিঙ্গের মানুষই শরীরচর্চার ফলে মানসিকভাবে ভাল বোধ করেন। ঘরের কাজ কর ও শিশুদের দেখাশোনা করাও এই তালিকার মধ্যে পরে। ল্যান্সেট সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবষেণা এখন পর্যন্ত এই ধরণের যে কোনো গবষেণার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের। তবে শারীরিক কার্যক্রম ব্যায়ামের কারণেই যে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর শরীরচর্চার প্রভাব বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণায় মিশ্র ফল পাওয়া গিয়েছে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, কম পরিমাণে শরীরচর্চা করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং মানসিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণেও শরীরচর্চার আগ্রহ কমে যায়। শরীরচর্চা করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়বেটিসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে আগেই। এই গবেষণায় অংশ নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা জানান, প্রতিমাসে গড়ে ৩.৪ দিন তারা মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন। আর যারা শরীরচর্চা করেন তারা গড়ে প্রতিমাসে দুইদিন মানসিক বিষন্নতায় ভোগেন। বিষন্নতার কারণে আগে যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা আরো বেশী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষন্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ব্যায়াম করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয়, তারা গড়ে প্রতিমাসে ৭ দিন মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন যেখানে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিরা মাসে ১১ দিন অবসন্নতায় ভোগেন। কতক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং কতদিন পরপর শরীরচর্চা করেন সেটিও গুরুত্বপূর্ন। প্রতি দুইদিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকাকে সবচেয়ে বেশী কার্যকর বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামে হিতে বিপরীত তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকয়িাট্রির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম চেকরুড বলেন, "এমন একটা ধারণা ছিল যে যত বেশী ব্যায়াম করা হবে ততই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তবে আমাদের গবেষণা বলে বিষয়টি এমনও নয়।" তিনি জানান মাসে ২৩ বারের বেশী ব্যায়াম করলে বা ৯০ মিনিটের চেয়ে বেশী সময় ধরে ব্যায়াম করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপের দিকেও যেতে পারে। দলগত খেলাধূলার ইতিবাচক দিক হলো তা ব্যক্তিতে সামাজিকভাবে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রেখে একাকিত্ব বোধ করার সম্ভাবনা কমায়। যার ফলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা তৈরী হয় ও অবসন্নতা দূর হয়।
শরীরচর্চায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের একটি দৃশ্য। কর্তৃপক্ষ বলছ, ৩৮-বছর বয়সী এই ব্যক্তি ওই সংঘাতের বিষয়ে "বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে সত্যকে বিকৃত করেছে।" চীনা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্লগারের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে তার বংশনাম কিউ। ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এধরনের কথিত আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অন্তত সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং সবশেষ এই ব্লগারকে গ্রেফতার করা হলো। গত বছরের জুন মাসে এই সংঘর্ষ হয় যাতে ৪৫ বছরের ইতিহাসে বিরোধপূর্ণ ভারত-চীন সীমান্তে প্রথমবারের মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। চীনে ২০১৮ সালে একটি আইন পাস করা হয় যেখানে "দেশের বীর ও শহীদদের নামে কলঙ্ক রটানো" নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে চায়না ডেইলি পত্রিকার একটি কলামে বলা হয়েছে এধরনের 'অপরাধের' জন্য চীনের ফৌজদারি আইনের আওতায় এখনই কোন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা যাবে না, কেননা এই আইনটির সংশোধনী এখনও কার্যকর করা হয়নি। বলা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এবং তার পরেই এই আইনের আওতায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। চায়না ডেইলির একজন কলামিস্ট বলেছেন, "আটক ব্লগার যদি এই কাজটি আর মাত্র দশদিন পরে করতেন, তাহলে তিনিই হতেন এই আওতায় সাজাপ্রাপ্ত প্রথম ব্যক্তি। এটা খুবই দুঃখজনক।" আরো পড়তে পারেন: মুসলিম উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনা কার্যক্রমকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিলো কানাডা চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলো পেছানোর পরিকল্পনা নেই: পিএসসি ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ, অনেকে 'ফিরে যেতে' চায় "বীরদের নামে কলঙ্ক রটানো" নানজিং জননিরাপত্তা ব্যুরো থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে কিউ নামের এই ব্লগারকে আটক করা হয়েছে ১৯শে ফেব্রুয়ারি। তার বয়স ৩৮। স্থানীয় রিপোর্ট অনুসারে মাল্টিব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে তার ২৫ লাখ অনুসারী রয়েছে। তবে বিবিসির পক্ষে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি কেননা তার অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েইবোর পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় যে মি. কিউর অ্যাকাউন্ট এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ব্লগার কিউ আটক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন যে তিনি, "নেটের লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অবৈধ আচরণ করেছেন, ওয়েইবোতে তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়েছেন এবং যেসব বীর সৈনিক সীমান্ত রক্ষা করছিল তাদের নামে কলঙ্ক রটিয়েছেন।" তার পর থেকেই তিনি "ঝগড়া ও সমস্যা তৈরিতে প্ররোচনা দেওয়ার" অভিযোগে আটক রয়েছেন। নিহত চারজন চীনা সৈন্যের একজনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। চীনে সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ আনা একটি সাধারণ ঘটনা। চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মন্তব্য করার অভিযোগে আরো কিছু ব্যক্তি আটক রয়েছেন, তবে তারা ঠিক কী বলেছেন সেবিষয়ে কিছু প্রকাশ করা হয়নি। চীন গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে যে ভারতের লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতীয় সৈন্যদের সংগে সংঘর্ষে তাদের চারজন সৈন্য নিহত হয়েছে। এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে ওই সংঘর্ষে ২০ জন চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেসময় চীন সরকার তাদের সৈন্য হতাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেও কোনো সংখ্যার কথা উল্লেখ করেনি। চীনের সামরিক সংবাদ মাধ্যমে পিএলএ ডেইলিতে বলা হয়, "যেসব সৈন্য তাদের যৌবন, রক্ত এবং জীবন দিয়েছে তাদেরকে বীর হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে।" নিহত সব সৈন্যকে মরণোত্তর পুরষ্কারও দেওয়া হয়। আরো পড়তে পারেন: চীন ও ভারতের মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধ কয়েক দশকের। এর একটি বড় কারণ হিসেবে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ঠিক মতো চিহ্নিত না হওয়াকেই দায়ী করা হয়। নদী, হ্রদ, তুষারে ঢাকা পাহাড় ও পর্বতসঙ্কুল দুর্গম এলাকাটিতে সীমান্ত চিহ্নিত করা খুব কঠিন। কোথায় চীন আর কোথায় ভারত অনেক জায়গাতেই সেটা স্পষ্ট নয়। ফলে অনেক জায়গাতেই দু'দেশের সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে যখন সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটে। তবে দুটো দেশের মধ্যেই এরকম পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে সমঝোতা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসেও ভারতের সিকিম সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে উভয়পক্ষের সৈন্যরা আহত হয়। তার পর থেকে দুটো দেশই সেসব জায়গা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে সম্মত হয় এবং এই কাজটাই এখন চলছে।
চীন-ভারত বিরোধ: নিহত চীনা সৈন্যদের 'কলঙ্ক' দেওয়ায় ব্লগার গ্রেফতার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বৃহস্পতিবার রাত তিনটার সময় ঢাকার কাছে কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। র‍্যাব-১০'র অধিনায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বিবিসিকে জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু তরুণ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হয়। গতরাতেও তারা সেখানে জড়ো হয়েছে, এমন খবর পেয়ে র‍্যাব সদস্যরা কমিউনিটি সেন্টারটি ঘেরাও করে। "তাদের কাছে কিছু মাদক পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে যে তারা সমকামিতার সাথে জড়িত। এ সমকামিতার সাথে জড়িত কিছু জিনিসপত্র যেমন কনডম, লুব্রিকেটিং জেল আটক করা হয়েছে," বলছিলেন র‍্যাব ১০'র অধিনায়ক। মি. মাতুব্বর জানিয়েছেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং এদের বেশিরভাগই ছাত্র। ফেসবুক এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা কেরানীগঞ্জের কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হতো। প্রতিবার জড়ো হলে কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দেয়া হয়। এলাকাবাসীকে উদ্ধৃত করে র‍্যাব জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি দেড় থেকে দুইমাস পর বৃহস্পতিবারে তারা জড়ো হতো। র‍্যাব অধিনায়ক মি: মাতুব্বর জানান, "তারা স্বীকার করে যে তারা মূলত ঐ কাজেই (সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া) আসে। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গতকাল ঐ কাজে লিপ্ত হতে পারেনি। তার আগেই তারা অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) হয়েছে।" আরো পড়ুন সৌদি আরব ও ইরানের দ্বন্দ্বে ঢাকা কি জড়িয়ে যাবে? 'সাংবাদিকদের ওপর নজরদারির অভিনব কায়দা' আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে। তবে সমকামিতার কথা স্বীকার করলেও গতরাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তারা সমকামিতায় লিপ্ত হয়নি, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন র‍্যাব অধিনায়ক। র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের আইনে সমকামিতা একটি অপরাধ।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২৭ জন 'সমকামী' আটক করেছে র‍্যাব
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেছেন। ১৯ বছর আগে আজকের দিনেই অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে এক ছাত্র-শ্রমিক সমাবেশ আয়োজন করেছিল সিপিবি, যেখানে সমাবেশ চলার মধ্যেই ঐ বোমা হামলা হয়েছিল। এতে ঘটনাস্থলে চারজন এবং পরে হাসপাতালে একজনসহ মোট পাঁচজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলার মোট আসামি ১২জন, এর মধ্যে ১০জনকে আজ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আসামিদের মধ্যে মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপর দুইজন আসামি খালাস পেয়েছেন। ঐ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০০৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সম্মেলনে বোমা হামলা এবং খুলনার আহমদীয়া মসজিদে বোমা হামলা করা হয়। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পেতে রাখা হয়। এরপর ২০০১ সালের ২০শে জানুয়ারি সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা, ১৪ই এপ্রিল রমনা বটমূলে বোমা হামলা হয়। বাংলাদেশে এরপর গির্জা এবং সিনেমা হলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। একের পর এক এসব বোমা হামলার কারণে সেসময় সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হয়। এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের অগাস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। পরবর্তীতে এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ২০০৫ সালে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলার মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। মামলাটি পুনঃতদন্তের পর ২০১৪ সালের ২১শে অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ ছাড়া উপায় ছিল না: প্রিন্স হ্যারি 'প্রজাপতি ত্বক' কী, সবাইকে জানাতে চায় মেয়েটি মহাবিশ্বের জন্ম রহস্য খুঁজছে চীনের টেলিস্কোপ প্রচারণায় প্লাস্টিকের পোস্টার, রাত বিরেতে শব্দ দূষণ চীনা প্রেসিডেন্টের নামের অশালীন অনুবাদের কারণ কী
২০০১ সালে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার কিন্তু বাংলাদেশের এই উদ্যোগের ব্যাপারে সম্প্রতি ব্রিটেনের এক মন্ত্রী ঢাকা সফরে এসে যা বললেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুরোধে যথেষ্ট সাড়া মেলেনি। ব্রিটেনের ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের একজন মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড দুদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য এখন বলছে, প্রয়োজনে এরকম চুক্তি করতেও তারা প্রস্তুত। তারেক রহমান গত প্রায় ১১ বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনে আছেন। ২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশে একটি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন তার বিরুদ্ধে অনেক কটি দুর্নীতির মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুরোনো মামলাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয় ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলাসহ আরও কিছু মামলা। এর মধ্যে তিনি তিনটি মামলায় দণ্ড পেয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতেই বাংলাদেশের আদালতে এসব মামলার বিচারে তার সাজা হয়। এখন বাংলাদেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করতে হবে। আরও পড়ুন: ব্রিটেনে তারেক রাজনৈতিক আশ্রয়ে, বললো বিএনপি বিএনপিকে নিয়ে ভারতের সমস্যাটা ঠিক কোথায়? 'তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি' ব্রিটেনকে কী অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ বাংলাদেশের তরফ থেকে তারেক রহমানের ব্যাপারে ব্রিটেনকে যে চিঠি দেয়া হয়, তাতে কী অনুরোধ করা হয়েছিল? পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারেক রহমান যে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, সেই মামলার বিষয়গুলো তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের কাছে আবেদন করা হয়। "আমরা ব্রিটিশ সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের যে সব তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে। আদালতের রায়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে এবং তার অপরাধের ব্যাপ্তি ও প্রভাবের ব্যাপারে যেসব পর্যবেক্ষণ এসেছে, সেগুলো জানিয়ে আমরা তারেক রহমানকে সোজা বাংলায় ফেরত চেয়েছি।" "আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করা হয়েছে।" ব্রিটেনে থেকে এভাবে দলের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তারেক রহমান ঢাকায় এসে কী বলেছিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ যে অনুরোধ জানিয়েছে, সে বিষয়ে ব্রিটেনের দিক থেকে কোন নিশ্চিত খবর প্রথম জানা যায় ব্রিটেনের ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের মন্ত্রী মার্ক ফিল্ডের ঢাকা সফরের সময়। ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় মিস্টার ফিল্ডকে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ইমিগ্রেশন বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কেসের ব্যাপারে তারা কথা বলেন না। তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে বাংলাদেশের দিক থেকে তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানোর একটি অনুরোধ তারা পেয়েছেন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের দুটি কথা বলেছিলেন। প্রথমত: বিষয়টি ব্রিটেনের হোম অফিস এবং আদালতের ব্যাপার, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং আইন অনুযায়ীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। দ্বিতীয়ত তিনি বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনের মধ্যে যে কোন বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ব্রিটেনের এই বক্তব্যের পর এখন কী বলছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, দুদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার বিষয়টি তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানোর পথে বাধা হতে পারে না। "যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন বলছে যে এটা হোম অফিসের বিষয় এবং এটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত, তখন আমাদের কথা হচ্ছে যে এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আরেকটু ভাল সহযোগিতা আশা করি । কারণ এটা বলে দায়িত্ব এড়ানোর এখানে কোন সুযোগ নেই।" মি: আলম সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ব্রিটেনকে সহযোগিতা করার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমরা বিভিন্ন সময় অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের নানা অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের কনস্যুলার সেবা নেয়ার সুযোগ দিয়েছি, আইনগত সব সুযোগ দিয়েছি। এই বন্ধুত্বের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।" আর দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার যে প্রশ্ন এসেছে, সে ব্যাপারে শাহরিয়ার আলম বলেছেন, "এক দেশ থেকে আরেক দেশে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ফেরত নিতে চুক্তি না থাকাটা কোন বাধা হয় না। এর আগে আমরা একাধিক দেশের নাগরিককে ফেরত দিয়েছি, এরকম নজির আছে। আর চুক্তির কথা বললে, আমরা সেটা করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছি।" ব্রিটেনের ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড ঢাকা সফরে গিয়ে বাংলাদেশের চিঠি দেয়ার কথা প্রকাশ করেন। বিএনপি কিভাবে দেখছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে জেলে যাওযার পর ব্রিটেনে থাকা তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। মি: রহমান দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে। "তাদের যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বিএনপি বা এর নেতৃত্বের ওপর এবং জিয়া পরিবারের সদস্যদের ওপর, সেটাকে চরিতার্থ করার জন্যই তারা দীর্ঘদিন ধরে এধরণের কার্যকলাপ করে যাচ্ছে। তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসার জন্য আছেন। আমরা জানি যে, নিয়মিত তাকে থেরাপি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে তাঁকে ফেরত নিয়ে আসার চেষ্টা অমানবিক।" "আর আইনি বিষয় হলে আমরা আইনগত ভাবেই দেখব।" মি: আলমগির এটাও বলেছেন যে, ব্রিটেন থেকে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে তারা বিশ্বাস করেন। এদিকে লন্ডন থেকে অভিবাসন সম্পর্কিত একজন আইনজীবী সৈয়দ ইকবাল বলছিলেন,বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। এটি আইনগত প্রক্রিয়ার বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে দেশে আনতে ব্রিটেনের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, বলছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগা ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকেন বেশি। গবেষকরা বলছেন ঘুমন্ত অবস্থায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণ হতে পারে জিহ্বায় বাড়তি চর্বি বা মোটা জিহ্বা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন ধারনা পাওয়া যাচ্ছে। ওজন কমালে কমবে জিহ্বার চর্বি স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগা ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকেন বেশি, তাদের নিশ্বাস অনেক উঁচু শব্দযুক্ত হতে পারে এবং অনেক সময় নিশ্বাস না নিতে পারার কারণে ঘুমের মধ্যে তাদের শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। এতে করে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যা অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এসব রোগীদের অনেকেরই তাই পরদিন ঘুমঘুম ভাব থাকে। গবেষকরা বলছেন স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়তি চর্বিযুক্ত জিহ্বা বেশি পাওয়া যায়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীরা শরীরের ওজন কমালে সেই সাথে জিহ্বা থেকেও চর্বি কমে যায়। আর তাতে রোগটি কমে আসে। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগা ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকেন। তবে স্থূলকায় না হলেও অনেকের চর্বিযুক্ত জিহ্বা হতে পারে। তারাও এই সমস্যায় ভোগেন। গবেষকরা এখন খোঁজার চেষ্টা করছেন এমন খাবার যা জিহ্বায় কম চর্বি যোগ করে। যে কারণে জিহ্বায় চর্বি জমে এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ফিলাডেলফিয়ার পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিন প্রতিষ্ঠানের ড. রিচার্ড শোয়াব। তিনি বলছেন, "আপনি কথা বলেন, খাবার খান, নিশ্বাস নেন-কিন্তু তারপরও কেন জিহ্বায় চর্বি জমে?" "বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার না। হতে পারে এটা জন্মগত অথবা পারিপার্শ্বিক কোন কারণে। তবে জিহ্বায় চর্বি যত কম হবে, ঘুমের মধ্যে তাতে সমস্যা তৈরি করার সম্ভাবনা তত কম হবে।" আরো পড়ুন: ওজন কম বেশি হলে আয়ুও কমে যেতে পারে ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, কিন্তু ভালো ঘুমের রহস্য কী? ভালো ঘুমের জন্য নিজেকে যেভাবে তৈরি করবেন স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম একটি বিষয় হল ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসনালীর উপরের দিক আংশিক অথবা পুরোটা আটকে যাওয়া। যাদের ওজন বেশি অথবা ঘাড় ও টনসিল বড় তাদের এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৬৭ জন স্থূলকায় লোকের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে, তারা শরীরের ওজন ১০ শতাংশ কমানোর পর তাদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণগুলো ৩০ শতাংশ কমে গেছে। স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়তি চর্বিযুক্ত জিহ্বা বেশি পাওয়া যায়। ওজন কমার পর তাদের শ্বাসনালীর উপরের অংশের আকার পরীক্ষা করে এই পরিবর্তনের ব্যাপারে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা। ওজন কমার কারণে চোয়ালের মাংসপেশিও কমে যায়। চোয়ালের মাংসপেশিও শ্বাসনালীর দুইপাশের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই চোয়ালের মাংসপেশি কমে যাওয়াতেও উপকার পাওয়া গেছে। ড. রিচার্ড শোয়াব বলছেন, "এখন যেহেতু আমরা জানি যে জিহ্বাতে থাকা বাড়তি চর্বি একটি ঝুঁকির কারণ এবং সেই চর্বি কমিয়ে আনলে স্লিপ অ্যাপনিয়া কমে আসে, আমরা এখন তাই অনন্য এক চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে মনোনিবেশ করেছি।" তবে চিকিৎসকদের অনেকে কিছুটা ভিন্ন মত দিচ্ছেন। যেমন ব্রিটিশ লাঙ ফাউন্ডেশনের ড. নিক হপকিনস। তিনি বলছেন, "আমরা জানি যে ওজন কমানোর মাধ্যমে শ্বাসনালীর উপরের অংশ সরু হয়ে যাওয়া ঠেকানো যায়। স্লিপ অ্যপনিয়ার সাথে জড়িত প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই গবেষণা কিছু তথ্য যোগ করেছে। কিন্তু জিহ্বার চর্বি কমানোর তেমন সুনিশ্চিত কোন পদ্ধতি নেই। তাই এই সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের জন্য এখনি কোন কার্যকর সমাধান এই গবেষণায় নেই।" অন্যান্য খবর: ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো বিমান দুর্ঘটনা: ইরানকে কেন দুষছে পশ্চিমারা? ধর্ষণের বিচার পাওয়া নিয়ে যত প্রশ্ন বাংলাদেশে
স্লিপ অ্যাপনিয়াঃ জিহ্বায় বাড়তি চর্বি ঘুমের মধ্যে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হতে পারে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
গত দশদিনে ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রায় বাড়তি পঞ্চাশ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। এই ধারাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। সোমবার সংসদে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের তুমুল বাধা ও বাগ-বিতণ্ডার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ স্বাক্ষরও করেছেন। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রীসভার ঐ বৈঠক শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা, নেতারা গৃহবন্দী, বন্ধ স্কুল কলেজ কী আছে এই কাশ্মীর সঙ্কটের মূলে যা দুই দেশকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে? এই ৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারতেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পেতেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার বিষয়টি বিজেপি'র পুরনো রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর একটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন জম্মু এবং কাশ্মীর 'ইউনিয়ন টেরিটরি' বা কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হবে। লাদাখ কেন্দ্রশাসিত তৃতীয় একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে ভারতকে ঐ রাজ্যের দখলদার বাহিনী হিসেবে প্রমাণ করেছে। ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর রাজ্যের পুরো অংশের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, তবে উভয় দেশই সেখানকার অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করে। গত তিন দশক ধরে ভারত শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কী ঘটতে চলেছে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে? কাশ্মীরে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বেসামরিক মানুষ কাশ্মীর কি শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতছাড়া হতে চলেছে?
কাশ্মীর: ভারত শাসিত রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের ঘোষণা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
থিওডোর ম্যাককারিক রোমান ক্যাথলিক ঘরানার একজন সাবেক কার্ডিনাল। বিশেষ করে চার্চের পাদ্রী, ধর্মযাজক ও অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ। থিওডোর ম্যাককারিক রোমান ক্যাথলিক ঘরানার একজন সাবেক কার্ডিনাল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাঁচ বছরের মতো আর্চবিশপের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। থিওডোর ম্যাককারিক হলেন এ পর্যন্ত সবচাইতে উচ্চ পদবীধারী ও প্রভাবশালী কোন ক্যাথলিক ব্যক্তিত্ব যার ধর্মযাজক পদবী কেড়ে নেয়া হল। যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ। 'কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়' ভ্যাটিকান থেকে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস তার বহিষ্কারের ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন এবং এব্যাপারে কোন আপীলের সুযোগ নেই। মার্কিন চার্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন তার বিরুদ্ধে এক কিশোরকে পাঁচ দশক আগে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া গেছে। আরো পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিস: নানদের যৌনদাসী করেছিলেন যাজকরা ক্যাথলিক চার্চে যৌন নিপীড়নের শিকার হাজারো শিশু 'হাজার শিশুকে নির্যাতন' করেছেন জার্মান যাজকরা তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কজন পুরুষ অভিযোগ করেছেন যে ধর্মযাজক হওয়ার জন্য তারা যখন পড়াশোনা করছিলেন তখন থিওডোর ম্যাককারিক তাদের যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছেন। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশপদের সংঘ বলছে, "কোন বিশপ, সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।" পোপ ফ্রান্সিস তার বহিষ্কারের ব্যাপারে এই রায় দিয়েছেন বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "ম্যাককারিক যত নির্যাতন চালিয়েছেন তার ক্ষত নিরাময়ে এটি একটি ছোট ধাপ মাত্র।" এসব অভিযোগ ওঠার পর এমনিতেই চার্চ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাককারিক। ১৯২৭ সালের পর তিনি পদত্যাগ করা প্রথম কার্ডিনাল। এখন ৮৮ বছর বয়সী ম্যাককারিক এমন কিছু কখনো করেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন। কি ধরনের অভিযোগ উঠেছে? রোমান ক্যাথলিক চার্চে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ একের একের পর উঠছে সেগুলো মোকাবেলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ক্যাথলিক চার্চ সম্পর্কিত যেসব ঘটনা শোনা যাচ্ছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে নতুন। ধর্মযাজিকারাও এমন নির্যাতনের শিকার বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে। জার্মানিতে ফাঁস হয়ে যাওয়া কিছু নথিপত্রে দেখা গেছে ১৯৪৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু পাদ্রী ও ধর্মযাজকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিনিয়াতে এক প্রতিবেদনে ৩০০ জন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের নাম প্রকাশ করা হয়েছে যাদের কাছে এক হাজারের বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার। ধর্মযাজিকারাও এমন নির্যাতনের শিকার বলে সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত হয়েছে। চার্চের উচ্চপদস্থ ধর্মীয় ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ নানা সময়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। অন্যান্য খবর: ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? 'আমার প্রজন্মকে উগ্রপন্থী বানিয়েছে সালমান রুশদী' যেভাবে বাংলাদেশে স্থায়ী তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা
যৌন নির্যাতনের দায়ে কেড়ে নেয়া হল ধর্মযাজকের পদবি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঘুমের ভেতরে মানুষের স্মৃতি তৈরি হয় আর সকালে কাজে যাবার ব্যস্ততা না থাকলে হয়ত একটু বেলা করে উঠছেন ঘুম থেকে। অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখলে কেউই তা অস্বাভাবিক মনে করবেন না হয়ত। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ ঘুমানোর এই প্যাটার্নই হতে পারে অ্যালঝেইমার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ঐ গবেষণায় জানা যাচ্ছে, রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমাচ্ছেন এমন ব্যক্তি, যারা আগে এর চেয়ে কম, অন্যদের তুলনায় তাদের অ্যালঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবার শঙ্কা দ্বিগুণ থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে এমন ফলাফলে উপনীত হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঘুমের ভেতরে মানুষের স্মৃতি তৈরি হয়, বিশেষ করে হালকা ঘুমের সময়। কিন্তু একটানা দীর্ঘ ঘুম এক্ষেত্রে সে প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেয়।
‘টানা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুম বিপজ্জনক’
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান কৌঁসুলী ছিলেন দলটির অন্যতম নেতা আব্দুর রাজ্জাক দলের আমীর মকবুল আহমদকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে মি. রাজ্জাক তাঁর পদত্যাগের কারণ হিসেবে মূলত তুলে ধরেছেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকাকেই। তিনি বলেছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছে যাতে একাত্তরের ভূমিকার কারণে দলটি জাতির কাছ ক্ষমা চায়। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। এসেক্সের বারকিং থেকে পাঠানো চিঠিতে তিনি এও বলেছেন যে ওই ইস্যুতে তিনি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন দলীয় ফোরামে। এছাড়া পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের আওতায় ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি, কিন্তু সে দাবি অনুযায়ী জামায়াত নিজেকে এখন পর্যন্ত সংস্কার করতে পারেনি। চিঠিতে মি. রাজ্জাক বলেন, "স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজও দলের নেতৃবৃন্দ ৭১-এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি। এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেনি।" তিনি বলেন, "অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের ক্ষতিকর ভূমিকা সম্পর্কে ভুল স্বীকার করে জাতির সাথে সে সময়ের নেতাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে পরিস্কার অবস্থান নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে"। জামায়াতে ইসলামী কি দলের নাম পরিবর্তন করছে? 'জামায়াত হারিয়ে যায় নি, পরিস্থিতি বুঝে এগুচ্ছে' একঘরে পরিস্থিতি সামলাতে জামায়াতে নানা মত আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে লন্ডনে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের একজন বলে গণ্য মি. রাজ্জাক ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৬ সালে জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া মি. রাজ্জাক তাঁর পদত্যাগপত্রে বলেন, গত প্রায় দুই দশক তিনি জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাঁর মতে, জামায়াত ৬০-এর দশকে সব সংগ্রামে যেমন অংশ নিয়েছে, তেমনি ৮০-র দশকে আট দল, সাত দল ও পাঁচ দলের সাথে যুগপৎভাবে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। মি. রাজ্জাক তাঁর পদত্যাগ পত্রে বলেন, "কিন্তু দলটির এসব অসামান্য অবদান ৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভুল রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে স্বীকৃতি পায়নি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা পরবর্তীকালে জামায়াতের সব সাফল্য ও অর্জন ম্লান করে দিয়েছে"। তিনি জানান, ২০০১ সালে জামায়াতের সে সময়ের আমীর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মন্ত্রী হওয়ার পর বিজয় দিবসের আগেই ১৯৭১ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন একটি কমিটি এবং বক্তব্যের খসড়াও তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া, ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকেও তিনি প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন এবং ২০০৭-০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময়েও তিনি জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দলের আমীর মকবুল আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক পরে ২০১১ সালে মজলিসে শুরার সবশেষ প্রকাশ্য অধিবেশনেও তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন, কিন্তু দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশের অবহেলায় তাঁর প্রস্তাব পরাজিত হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরপরে ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ বর্তমান আমীর মকবুল আহমদকেও চিঠি পাঠিয়ে ১৯৭১ প্রসঙ্গে বক্তব্য দেয়ার প্রস্তাব দেন মি. রাজ্জাক। মকবুল আহমদ আমীর হওয়ার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের মতামত চাইলে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত একটি খসড়া বক্তব্য পাঠান কিন্তু সেটিও আর বাস্তবায়িত হয়নি। মি. রাজ্জাক বলেন, "সবশেষে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর জানুয়ারি মাসে জামায়াতের করণীয় সম্পর্কে আমার মতামত চাওয়া হয়। আমি যুদ্ধকালীন জামায়াতের ভূমিকা সম্পর্কে দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেই। অন্য কোন বিকল্প না পেয়ে বলেছিলাম, জামায়াত বিলুপ্ত করে দিন"। মিস্টার রাজ্জাক মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত "কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমার তিন দশকের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে," - বলেন আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর পদত্যাগপত্রে তিনি বৈশ্বিক রাজনীতির বাস্তবতা ও একাত্তরে দলের ভূমিকা নিয়ে বর্তমানে যে প্রভাব, তা তুলে ধরেছেন দলের আমীরের কাছে। তিনি বলেন যে জামায়াতে যোগ দেয়ার পর তিনি দলের ভেতর থেকে সংস্কারের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। "বিগত ৩০ বছর আমি সেই চেষ্টাই করেছি। আমি কাঠামোগত সংস্কার ও নারীর কার্যকর অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলাম। ২০১৬ সালে চিঠি দিয়ে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। অন্য মুসলিম দেশগুলোর উদাহরণ দিয়েছি। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি"। আব্দুর রাজ্জাক বলেন দলের সর্বশেষ পদক্ষেপ তাকে হতাশ করেছে বলেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী: দল বিলুপ্ত ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ভারতে ছাড়পত্র দেয়া দুটি টিকাই সরকারি কার্যক্রমের জন্য রপ্তানি করা যাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষন একথা জানিয়েছেন বলে কলকাতা থেকে খবর দিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী। একই সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অফিসার আদার পুনাওয়ালার যে বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, তিনিও বিবিসিকে জানিয়েছেন যে ভারতে বা বিদেশে বেসরকারি কোন সংস্থার কাছে টিকা বিক্রি না করতে পারলেও যে কোনও দেশের সরকার পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচির জন্য তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি রপ্তানির ওপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সেই হিসাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের কাছে টিকা রপ্তানি করতে কোনরকম বাধা থাকছে না, কারণ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন যে ভারত থেকে কোভিড টিকা আনার ব্যবস্থাটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো করলেও টিকাদান কর্মসূচির অর্থায়ন ও পরিচালনা সরকারই করবে। সিরাম ইনস্টিটিউট বিবিসিকে জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মরক্কোয় তারা টিকা পাঠানোর কাজ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করতে পারবে বলে আশা করছে। দু'দিন আগে ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. পুনাওয়ালা বলেছিলেন, তারা ভারতে শুধুমাত্র জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন এই শর্তে যে তারা বেসরকারি বাজারে এটি বিক্রয় করতে বা এটি রপ্তানি করতেও পারবে না। রপ্তানি নিয়ে তার মন্তব্যের পর বিভ্রান্তি তৈরি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টুইট করে জানান যে সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি তাদের আছে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারেও মি. পুনাওয়ালা বলেন, "জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তার শর্ত অনুযায়ী আমরা দেশে বা বিদেশে কোনও বেসরকারি সংস্থার কাছে ভ্যাকসিনটি বিক্রি করতে পারব না। কিন্তু কোনও দেশের সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে পারব।" আরও পড়তে পারেন: সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহীর একটি বক্তব্য টিকা রপ্তানির ব্যাপারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার পর সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আজ নতুন ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে 'ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত' ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার করোনার সার্বিক পরিস্থিতি এবং টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিল বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী। সেখানে তাদের বক্তব্যের পরে সাংবাদিকদের দিক থেকে প্রথম প্রশ্নটিই ছিল ভ্যাকসিন রপ্তানির ওপরে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত। স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষনের কথায়, "দুটি কোভিড ভ্যাকসিনের কোনটির রপ্তানির ওপরেই কেন্দ্রীয় সরকার কোনরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে নি। এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি মন্ত্রক এধরনের একটা কাল্পনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে: একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং বাণিজ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রক অথবা বাণিজ্য মন্ত্রক - কোনটিই এধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এধরণের ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত।" মি. ভূষন আরও জানিয়েছেন ভারতে এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত-বায়োটেক, যে দুটি সংস্থার তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে, তারাও একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। সেখানেও বলা হয়েছে যে তাদের উৎপন্ন কোভিড ভ্যাকসিন তারা বিশ্বের মানুষের উপকারে ব্যবহার করতে চায়। ওই বিবৃতিতে সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী অফিসার আদার পুনাওয়ালারও নাম রয়েছে। সিরাম জানিয়েছে, ভারতের ব্যবহারের জন্য পাঁচ কোটি টিকা প্যাকেটজাত করা হয়েছে এবং তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। আরও পাঁচ কোটি টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আছে।
করোনা ভাইরাস টিকা: সিরামের ভ্যাকসিন সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য বাংলাদেশ সহ সব দেশে রপ্তানি করা যাবে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
লিবিয়াতে আটকে পড়া বাংলাদেশের একদল অভিবাসী (ফাইল চিত্র) গত মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে পাচারকারীদের গুলিতে ৩০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন ১১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী। তারাও দেশে ফেরত এসেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই তথ্য জানিয়েছে। ৩০শে সেপ্টেম্বর বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে এই বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে ১০০ জন বিপন্ন অভিবাসী ছিলেন। আরো পড়ুন: লিবিয়া থেকে নৌকায় করে ইউরোপ যেতে গিয়ে বহু লোক সাগরে ডুবে মারা গেছে মিজদাহ'র আক্রমণের শিকার বাংলাদেশি অভিবাসী মোহাম্মদ সৈয়দ খান বলেছেন, "আমি এই ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। এটা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মত। আমার শরীরে গুলি লাগে এবং চার মাস পর আমি দেশে ফেরার মত সুস্থ হই। এখনো অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হন নি এবং আমরা এখনো আতঙ্কিত।'' হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন আহত বাংলাদেশি নাগরিকের বয়ানের ভিত্তিতে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, মারা যাওয়া ২৬ জন সহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি ও কিছু সুদানি নাগরিক প্রায় ১৫ দিন ধরে ঐ অপহরণকারী চক্রের হাতে আটক ছিলেন। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায় আটক করে রাখা হয়েছিল তাদের। আইওএমের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশে ফেরার পর এই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা, কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ফলো-আপের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। দেশে ফেরত আসা অভিবাসীদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে আইওএম বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা প্যাকেজও দিচ্ছে। আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, "কোভিড-১৯ সমগ্র বিশ্বের অভিবাসী কর্মীদের বিপদকে বাড়িয়ে দিয়েছে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী হোপ হিকস কে? তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? রোহিঙ্গা কূটনীতি নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের বাকযুদ্ধ
হামলায় বেঁচে যাওয়া নয় জনসহ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৬৪ বাংলাদেশি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সায়রা আটেস ও লুদোভিক মোহামেদ জাহেদ চান এমন আরো মসজিদ তৈরি করতে। ভবনের পিছন দিকে গেলে দেখা যাবে একটি সিঁড়ি। ওই সিঁড়ি বেয়ে কয়েক ধাপ ওপরে ওঠলেই দেখা যাবে সাদা রংয়ের সাধারণ একটি ঘর। ঘরের প্রবেশমুখেই কয়েকটি জুতা সাজিয়ে রাখা এবং সেই ঘরটিতে কয়েকজন মানুষ নামাজ পড়ছেন। কারণ, এটি একটি মসজিদ। মুসলমানদের নামাজের জন্য এই ঘরটি যাজকদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়েছে , কিন্তু পাশাপাশি গির্জার কার্যক্রমও চলছে। কিন্তু মসজিদটি যে শুধু তার অবস্থানের জন্য ব্যতিক্রম তা নয়। বার্লিনের নতুন এই মসজিদটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-এখানে নারী ও পুরুষ একসাথে নামাজ আদায় করেন। এমনকি শুক্রবারের নামাজের ইমামতি করেন নারীরা। এছাড়া সমকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও এই মসজিদে অবাধে আসতে পারেন। "আমাদের মসজিদ সবার জন্য খোলা" বলছেন মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সায়রা অ্যাটেস। তুর্কী বংশোদ্ভুত এই জার্মান নাগরিক নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেন। নারী-পুরুষ একসাথে নামাজ আদায় করছেন "প্রত্যেক সমাজের মানুষ এখানে আসতে পারবেন। আমরা ওপরওয়ালা নই। আমরা জানিনা কে ভালো মুসলিম, কে খারাপ। যে কেউ এখানে আসতে পারে, সে সমকামী নাকি হিজড়া সে প্রশ্ন করার আমরা কেউ নই"- বলেন সায়রা অ্যাটেস। দ্য ইবনে রুশদ গ্যেথে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলছে, মুসলিমদের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষদের ধ্যান ধারণা পাল্টানোর লক্ষ্যে এই মসজিদ। তবে এই মসজিদটি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনাও তৈরি হয়েছে। মিস আটেস শখানেক হত্যার হুমকি পেয়েছেন। বিশেষ করে আরব বিশ্ব ও তুরস্ক থেকে চরমপন্থাদের হুমকি এসেছে। এমনকি তুরস্কের একটি টিভিতে ভুয়া খবরও ছড়ানো হয় যে ওই মসজিদে কোরআন নিচে ফেলে অবমাননা করা হয়েছে। তুরস্কের ধর্মবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এবং মিশরের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই মসজিদে যা হয় তা 'ইসলামিক নয়'। গাম্বিয়া থেকে জার্মানি বেড়াতে আসা এক মুসলিম নাগরিকের মতে "মসজিদটিতে নারী ও পুরুষ একসাথে নামাজ পড়ছে। নারী-পুরুষ একসাথে নামাজ প্রার্থনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে স্বর্ণ: গবেষণা প্রথমবারের মতো স্বামীর নাম ধরে ডাকলেন যারা চীনের সাথে শান্তি চেয়ে বিপদে ভারতীয় বক্সার সেন্ট জোহানেস দেখতে অনেকটা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জার মতো।
জার্মানির যে মসজিদ নারী, পুরুষ, সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য উন্মুক্ত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
অবৈধ আন্তর্জাতিক বাজারে ভালুকের পিত্তাশয়ের দাম খুবই চড়া বেশ কয়েকবছর ধরে ইয়ারলিন নামের ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ভালুক চোরা-শিকারের এই ঘটনা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ প্রথম সজাগ হয় যখন ভারতের এক জাতীয় পার্কে একটি মৃত ভালুকের লিঙ্গবিহীন দেহ পাওয়া যায়। "ইয়ারলিন পার্ধি-বেহেলিয়া নামে এক যাযাবর উপজাতি গোষ্ঠির যারা বিশ্বাস করে প্রাণীর লিঙ্গ খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়," জানাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের বনবিভাগের কর্মকর্তা রীতেশ সিরোথিয়া। তবে তিনি বলেছেন ইয়ারলিনকে ১৯শে অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে। তিনি আরো জানিয়েছেন আটক ব্যক্তি মধ্য ভারতে অবৈধ বাঘ শিকারি চক্রের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বাঘসহ বিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী চোরা-শিকার এবং এসব প্রাণীর দেহাংশ নিয়ে ব্যবসার বেশ কয়েকটি মামলার সঙ্গে ইয়ারলিন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশের চোখ এড়াতে ওই ব্যক্তি অনেকগুলো ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করতো। ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এবং সে অথবা তার কোন আইনজীবী এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ''আমরা তাকে খুঁজে বের করার এবং ধরার জন্য একটা বিশেষ সেল গঠন করেছিলাম। ছয় বছর ধরে তোকে আমরা ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,'' জানান মি. সিরোথিয়া, যিনি বনবিভাগের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের প্রধান। মধ্য প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জঙ্গলে মূলত এই পার্ধি-বেহেলিয়া উপজাতির মানুষের বসবাস। তারা মূলত শিকার করে জীবনধারণ করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিপন্ন কচ্ছপ পাচারে ধরা পড়েও বারবার জামিন ভারতেই সবচেয়ে নিরাপদ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? বাঘ-সিংহ বা জিরাফ কি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে? ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে শ্লথ বা কালো ভালুক এবং বাঘ অবৈধভাবে শিকার করার অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতির পশু চোরাশিকারের সঙ্গেও সে জড়িত বলে অভিযোগ। বন্যপ্রাণী শিকার ভারতে অবৈধ, এমনকী আদিবাসী বা উপজাতি গোষ্ঠির মানুষদের জন্যও। যদিও প্রথাগত জীবনধারণের তাগিদে বা তাদের বন্য আচার পালনের জন্য গোপনে শিকার অব্যাহত রয়েছে। ভারত সরকার বলছে তারা বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল আদিবাসী গোষ্ঠিগুলোর জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এইসব সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়েই রয়ে গেছে এবং তাদের জীবনযাপনের ধারা বদলায়নি। ইয়ারলিনকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৩ সালে। পুলিশ ওই সময় কান্হা জাতীয় পার্কে দুটি শ্লথ বা কালো ভালুকের লিঙ্গবিহীন মৃতদেহ খুঁজে পাবার পর তাকে আটক করে। ভালুক দুটির দেহ থেকে যৌনাঙ্গ ছাড়া পিত্তথলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এক বছর কারাগারে রাখার পর তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং এরপর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভালুকের শরীরের পিত্ত যা যকৃৎ থেকে তৈরি হয় তা সঞ্চিত থাকে তার পিত্তথলিতে। শত শত বছর ধরে ভালুকের পিত্ত চীনের প্রথাগত ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং অবৈধ আন্তর্জাতিক বাজারে ভালুকের পিত্তথলি বা পিত্তাশয় চড়া দামে বিক্রি হয়। মি. সিরোথিয়া বলেছেন মহারাষ্ট্র এবং মধ্য প্রদেশ রাজ্যে ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে বাঘ চোরা শিকারের অভিযোগ রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ১৬ জন আসামীর সবার মৃত্যুদণ্ড ক্রিকেটারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, বোর্ডের সাথে রফা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কোন সময়ে সবচেয়ে ভাল কাজ করে
ভারতে গ্রেপ্তার হল 'অবৈধ পশু শিকারি যে ভালুকের লিঙ্গ খেত'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নানা দেশে ভ্রমণের চাবিকাঠি হচ্ছে পাসপোর্ট। বৈধ পাসপোর্ট এমন একটি দলিল যা কখনও কোন দেশের দরোজা খুলে দিতে সাহায্য করে, আবার কখনও বা কোন দেশের দরোজা বন্ধ করেও দেয়। আমাদের চলাচলের জন্য এই পাসপোর্ট কিভাবে পেয়েছি, তার ইতিহাস সত্যি চমকপ্রদ। এখানে পাসপোর্টে সম্পর্কে ১৩টি মজার তথ্য, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দিতে পারে। ১.সুমেরু প্রভা দেখতে পাবেন শুধু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পাসপোর্টে সুমেরু প্রভা, যার দেখে মেলে শুধুমাত্র স্ক্যানিডনেভিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর আকাশে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কোন দেশের পাসপোর্ট যদি ইউভি আলোর নীচে রেখে পরীক্ষা করেন তাহলে আপনি 'নর্দার্ন লাইটস' বা সুমেরু প্রভা দেখতে পাবেন। ২. প্রথম পাসপোর্টের কথা শুনুন বাইবেলে প্রাচীন বাইবেল। বুক অফ নেহেমিয়া-তে পারস্যের রাজা প্রথম আরটাজেরেস জুডিয়ার ভেতর দিয়ে নিরাপদে চলাচলের অনুমতি দিয়ে তার এক সরকারি কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। ৩. পাসপোর্টে ছবি যুক্ত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এক সময় পাসপোর্টে কোন ছবি লাগতো না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পাসপোর্টে ছবি লাগানোর প্রথা শুরু হয়। এর কারণ হলো এক জার্মান গুপ্তচর জাল আমেরিকান পাসপোর্ট নিয়ে ব্রিটেনে ঢুকে পড়েছিলেন। ৪. ওজন বেড়েছে? পাসপোর্ট নবায়ন করুন পাসপোর্টের ছবির জন্য রয়েছে কঠোর নিয়মকানুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার ওজন বাড়লে বা কমলে আপনাকে নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। ৫. পাসপোর্টে পারিবারিক ছবি? এক সময় যে কোন ছবি পাঠানো যেত পাসপোর্টের জন্য। আগে পাসপোর্ট তৈরির জন্য যে কোন ধরনের ছবি পাঠালেই চলতো। এমনকি চাইলে আপনি পারিবারিক ছবিও পাঠাতে পারতেন। ৬. ছয় মাসে আগেই পাসপোর্ট নবায়ন করুন পাসপোর্ট নবায়ান না করলে আপনাকে বিদেশে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। পাসপোর্ট নবায়নের তারিখ নিয়ে কোন টালবাহানা না করাই ভাল। ইয়োরোপীয় ইউনিয়নসহ কোন কোন দেশ চায় সে দেশে ঢোকার পর আপনার পাসপোর্টে ৯০ দিন সময় থাকতে হবে। কিন্তু চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মত কিছু দেশ চায় পাসপোর্টে ছয়মাস সময় থাকতে হবে। এটা তারা চায় যেন কোন দেশে বেড়াতে গিয়ে আপনি আটকে না পড়েন। এবং সময় থাকতে সেই দেশ ছাড়তে পারেন। ৭. কুইন্সল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পাসপোর্ট লাগে না... কোন কোন দেশের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কথাটা ঠিক। কিন্তু সেটা প্রযোজ্য পাপুয়া নিউ গিনির নয়টি উপকূলীয় গ্রামের জন্য। পাপুয়া নিউ গিনি যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন এই গ্রামগুলোর সাথে অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষ চুক্তি হয় যেখানে বলা হয় এই গ্রামের বাসিন্দারা কোন পাসপোর্ট ছাড়াই কুইন্সল্যান্ড প্রদেশ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবেন। ৮. ভ্যাটিকানে কোন ইমিগ্রেশন নেই ভ্যাটিকান, ইতালীর রাজধানী রোমের কেন্দ্রস্থলে স্বাধীন এক রাষ্ট্র। ভ্যাটিকান একটি স্বাধীন ক্যাথলিক রাষ্ট্র হলেও এর কোন ইমিগ্রেশন কন্ট্রোল নেই। তবে ক্যাথলিক ধর্মমতের প্রধান গুরু পোপের একটি পাসপোর্ট রয়েছে, যার নম্বর ভ্যাটিকান-১। ৯. অনেক আমেরিকানের কোন পাসপোর্ট নেই আমেরিকানদের মধ্যে অনেকে জীবনেও বিদেশে যাননি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট নাগরিকের সংখ্যা ৩২১৩৬২৭৮৯। কিন্তু পাসপোর্ট রয়েছে যাদের কাছে তাদের সংখ্যা মাত্র ১২১৫১২৩৪১ জন। ১০. পাসপোর্ট বিক্রি করেছে টোঙ্গা টোঙ্গার পাসপোর্ট। পলিনেশিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা ২০ হাজার ডলারে পাসপোর্ট বিক্রি করেছে। এই রাষ্ট্রের রাজা প্রয়াত চতুর্থ তৌফাহাউ টুপাউ সে দেশের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিদেশিদের কাছে পাসপোর্ট বিক্রি করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ১১. ফিনিশ এবং স্লোভেনিয়ান পাসপোর্ট ছবির ফ্লিপ-বুক হিসেবে কাজ করে একটি ফ্লিপ বুক। আপনার যদি ফিনিশ কিংবা স্লোভেনিয়ান পাসপোর্ট থাকে, তাহলে সেটার পাতা যদি দ্রুত উল্টাতে থাকেন, তাহলে দেখবেন পাসপোর্টের পাতার নীচের একটি একটি ছবি দ্রুত নড়তে থাকবে। ১২. নিকারাগুয়ার পাসপোর্ট জাল করা সবচেয়ে কঠিন জালিয়াতির বিরুদ্ধে নিকারাগুয়ার পাসপোর্টে রয়েছে নানা ব্যবস্থা। নিকারাগুয়ার পাসপোর্টে হলোগ্রাম এবং জলছাপসহ ৮৯টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত পাসপোর্ট। ১৩. ব্রিটেনের রানীর কোন পাসপোর্ট নেই ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানীর দ্বিতীয় এলিজাবেথকে পাসপোর্ট নিয়ে কোন দু:শ্চিন্তা করতে হয় না। কারণ যুক্তরাজ্যের জনগণকে তার নামেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আর সে কারণেই তার নিজের কোন পাসপোর্ট নেই। তবে রানীর গোপন দলিলের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। রানীর তরফে যেসব বার্তাবাহক রয়েছেন তারা নানা ধরনের গোপন দলিল সারা বিশ্বে পৌঁছে দেন। আর এই দলিলগুলোর জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। এধরনের ১৫টি পাসপোর্টের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। আরো পড়তে পারেন: নতুন জাতীয় সংসদে কারা হতে পারবে বিরোধী দল? নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলে হতাশা শবরীমালা মন্দিরের প্রাচীন প্রথা ভাঙলেন দুই নারী
নানা দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ১৩টি অজানা তথ্য
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক: 'এগুলো দিনে-দুপুরে ডাকাতি' এসব দুর্নীতির কারণে ক্ষমতাসীন দলের জন্য 'রাজনৈতিক মূল্য' অনেক বেশি হতে পারে মি: রাজ্জাক উল্লেখ করেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের জন্য আবাসিক এলাকায় আসবাবপত্র কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি পর্দা কেনা হয়েছে ৩৭ লাখ টাকায়। এসব দুর্নীতিকে 'অস্বাভাবিক' বলে বর্ণনা করেন আব্দুর রাজ্জাক। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এগুলো হলো একদম দিনে-দুপুরে ডাকাতি কিংবা সিঁদ কেটে চুরি করা ছাড়া কিছুই না। একজন সরকারি কর্মকর্তার এতো বড় সাহস কোথা থেকে আসে!" বালিশ ক্রয়ে দুর্নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল তিনি বলেন, এতে সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার ভীষণ উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন মি: রাজ্জাক। "আমাদের যত অর্জন সাফল্য সবই ম্লান হয়ে যাচ্ছে, সব ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। বরং কালিমা লেপন হচ্ছে।" সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা বালিশ এবং পর্দা ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি হালকা-ভাবে উপস্থাপন করলেও মি: রাজ্জাক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি মনে করেন, এগুলো 'ছোটখাটো' কোন বিষয় নয়। "ছোটখাটো বিষয় হবে কেন? যারা এগুলো করতে পারে তারা বড়ও করতে পারে," বলছিলেন মি: রাজ্জাক। রাজনৈতিক সদিচ্ছা কতটা? দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সরকারের মধ্যে 'দ্বিমুখী চিত্র' প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্সের' কথা বললেও যারা এটি বাস্তবায়ন করবেন, তাদের একটি অংশের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে অস্বীকার করার মানসিকতা দেখা যায়। অন্যান্য খবর: মিয়ানমারে সরকারি স্থাপনা তৈরির জন্য রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস যেভাবে আত্মহত্যা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন এই নারী আফগানিস্তানে কেনো এতো দীর্ঘ যুদ্ধ হচ্ছে? "এ ধরণের বক্তব্য যখন আসে তখন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যারা জড়িত, বিচারিক কিংবা তদন্ত প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের কাছে এক ধরণের রং মেসেজ (ভুল বার্তা) পৌঁছায়," - বলছিলেন মি: জামান। তবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। মি: রাজ্জাক বলেন, দুর্নীতি কমানোর জন্য এরই মধ্যে সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
বালিশ এবং পর্দা কেনায় দুর্নীতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক: 'চড়া রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে'
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্তমান সময়ের জঙ্গিদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ঢিল ছুঁড়ে এবং মিছিল করে মানুষজন বিক্ষোভ করেছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর বৈধতা এবং এর বিলোপের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের বিষয়ে গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হলেও এ বিষয়ে যাদের মতামত সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করার কথা ছিল - কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ - তাদের বক্তব্যই উঠে আসেনি। বিবিসি সংবাদদাতা জুবায়ের আহমেদ ভারত শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন, যেখানে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশিত হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তা উঠিয়ে নেয়ার সাথে সাথে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসবে বলে মনে করেন সেখানকার বাসিন্দারা। ক্ষমতাসীন বিজেপি'র একজন সিনিয়র মুসলিম নেতাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই মনোভাব ব্যক্ত করেন। "কাশ্মীরীরা ঘটনার আকস্মিকতায় এখনও খানিকটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে। খুব শীঘ্রই উপত্যকা ক্ষোভে ফেটে পড়বে বলে মনে হচ্ছে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এক নজরে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতিহাস কাশ্মীর: অনুচ্ছেদ ৩৭০ কেন গুরুত্বপূর্ণ? কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিল ভারত সরকার 'আমরা স্বাধীনতা হারালাম' - বারামুলার কাশ্মীরী বাসিন্দা ভারত শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে বেসামরিক মানুষের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাত নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। শ্রীনগরের বাইরে কাশ্মীরের অন্যান্য অংশেও মানুষের মধ্যে একই ধরণের ক্ষোভ কাজ করছে। উত্তর কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে তেমনই প্রমাণ পান বিবিসি'র আমির পীরজাদা। কিন্তু ভারত শাসিত কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে এত তীব্র ভারত বিদ্বেষ কেন? ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর ছিল হিন্দু রাজা হরি সিংয়ের অধীনে। দুই দেশ স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীরা কাশ্মীরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি ভারতের সাহায্য চান। সেসময় ভারত-পাকিস্তান প্রথম দফা যুদ্ধ হয়। কাশ্মীরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভারত দখল করে নেয়। এরপর কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৬৫ সালে বড় ধরণের যুদ্ধে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ভারত শাসিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রেখাকে 'লাইন অব কন্ট্রোল' হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দুই দেশ। ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় ভারত শাসনের বিরুদ্ধে শুরু হয় সশস্ত্র লড়াই। ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরের স্কুল ছাত্রীরা। (ফাইল ছবি) এরপর ৯০'এর দশকে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সাথে জঙ্গি এবং কাশ্মীরের বেসামরিক নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। কাশ্মীরীদের মধ্যে তীব্র রুপ নিতে থাকে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। কাশ্মীরের অনেক মানুষের মধ্যেই তখন ভারতের শাসনের চেয়ে স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সাথে অন্তর্ভূক্তিকে প্রাধান্য দেয়। কাশ্মীরের তরুণদের মধ্যে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। ভারত সবসময় অভিযোগ করে এসেছে যে কাশ্মীরের জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে সহায়তা করেছে পাকিস্তান, যেই অভিযোগ পাকিস্তান সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছে। বুরহান ওয়ানির শেষকৃত্যে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ । যেভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে কাশ্মীরের তরুণরা একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দশকে কাশ্মীরে চলতে থাকা সহিংসতা এবং উত্তেজনা ১৯৮০ বা ১৯৯০'এর দশকের তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও একেবারে স্তিমিত হয়ে যায়নি। ২০১৩ সালে ভারতের সংসদে বোমা হামলার দায়ে কাশ্মীরের এক জঙ্গি নেতা আফজাল গুরু'র ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জঙ্গি সংগঠনগুলো সক্রিয় হতে শুরু করে - ৯০'এর দশকে বা একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে যেসব জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হতো মূলত পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর ই-তাইয়েবা বা জইশ ই-মুহম্মদের দ্বারা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে যেখানে ২৮জন কাশ্মীরী বেসামরিক নাগরিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগ দিয়েছিল, ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ জনে এবং ২০১৫' তে সেই সংখ্যা হয় ৬৬। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ও ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চরম আকার ধারণ করে ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানি নামের এক জঙ্গি নেতার মৃত্যুর পর। ২২ বছর বয়সী বুরহান ওয়ানি'র ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যুর পর থেকে সেখানকার জঙ্গিগোষ্ঠী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের সময় রক্ত ও বীরত্বের গান গেয়ে নিহতকে সম্মান জানায় কাশ্মীরী নারীরা। শুধু ২০১৮ সালেই সেনা সদস্য, বেসামরিক নাগরিক ও সন্দেহভাজন জঙ্গিসহ মোট পাঁচশো'র বেশি মানুষ মারা যায় কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে। এই জঙ্গিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে বড় ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়। ২০১৬ সালে লস্কর ই-তৈয়বার কমান্ডার আবু কাসিমের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছিল। হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা বুরহান ওয়ানির শেষকৃত্যে মানুষের উপস্থিতি ছিল তার চেয়েও বেশি। প্রতিটি শেষকৃত্যেই নিহতকে 'নায়কোচিত' সম্মানের সাথে বিদায় জানানো হয়। মৃতের কপালে চুমু খেয়ে কাশ্মীর স্বাধীন করার প্রতিজ্ঞা করে কাশ্মীরী কিশোর-তরুণরা। সমাধিস্থ করার সময় বন্দুকের গুলি চালিয়ে যোদ্ধার সম্মান জানানো হয় নিহত ব্যক্তিকে। কিশোর-তরুণদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত ভিত্তিতে এসব শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কাশ্মীরী কিশোরদের অনেকেই এরকম শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হন জঙ্গিবাদে জড়ানোর। আর ৯০'এর দশকের জঙ্গিদের তুলনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কাশ্মীরের বর্তমান জঙ্গিদের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক বেশি, রীতিমতো নায়কের মর্যাদা পায় তারা। কারণ বর্তমানের জঙ্গিরা সেসময়কার জঙ্গিদের মত সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে না। তারা স্থানীয় ঝামেলায় জড়ায় না, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রমেও বাধা দেয় না বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের মত কাজও করে না। কী আছে এই কাশ্মীর সঙ্কটের মূলে যা দুই দেশকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে? বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? কাশ্মীরে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বেসামরিক মানুষ কাশ্মীর কি শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতছাড়া হতে চলেছে?
কাশ্মীর: তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার পেছনে যেসব কারণ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেশ কয়েকটি অগ্নি দুর্ঘটনার কথা শোনা গেছে তবে বিস্ফোরণ গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হয়েছে, না গ্যাসের পাইপলাইনে হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসিন জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের রাইজার পাইপলাইন বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে । রোববার সকালে চট্টগ্রাম শহরের মূল কেন্দ্র থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ঐ এলাকায় একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। আরো পড়ুন: ভয়াবহ আগুনে নিহত ৭৮, স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে? বস্তিতে আগুন: 'পিন্ধনের কাপড়টা খালি বাঁচাইছি' বিদ্যুৎ থেকে বাসা বাড়িতে আগুন লাগছে কেন? আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে ভাষানটেকের আগুন এরপর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ১৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে অন্তত সাতজনকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মিঃ মোহসিন জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর সংলগ্ন একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। এছাড়া সংলগ্ন আরো দুইটি ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত আট ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মিঃ মোহসিন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
স্বজনেরা যেকোনো মূল্যেই হোক এটি উদ্ধার করার দাবি জানাচ্ছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরের ১৫ তারিখ ৪৪ জন ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো এআরএ সান হুয়ান নামের সাবমেরিনটি। ঠিক এক বছর একদিন পর এই ১৬ই নভেম্বর সেটির সন্ধান মিলেছে আটলান্টিক সমুদ্রের ২,৯৫০ ফিট নিচে। দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার গেব্রিয়েল আত্তিস নিশ্চিত করেছেন, সাবমেরিনটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এর কাঠামো পুরোপুরি ভাঙাচোরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। চারিদিকে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে এর ধ্বংসাবশেষ। সেগুলো ২২৯ ফিট পর্যন্ত দূরে ছড়িয়ে রয়েছে। আরো পড়ুন: নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে মিললো স্যাটেলাইট সংকেত সাবমেরিন থেকে মহিলা সাংবাদিকের অন্তর্ধান রহস্য মার্কিন একটি অনুসন্ধানকারী সংস্থা ওশান ইনফিনিটি এটি খুঁজে পায়। একটি আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর আর্জেন্টিনা বেসরকারি এই সংস্থাটিকে নিয়োগ দিয়েছিলো। কী হয়েছিলো সাবমেরিনটির? আটলান্টিক সমুদ্রের ২৯৫০ ফিট নিচেসেটির সন্ধান মিলেছে সাবমেরিনটি। এআরএ সান হুয়ান দক্ষিণ আমেরিকার একদম দক্ষিণাংশে একটি নিয়মিত টহল অভিযানে ছিল। পথে সেটির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়। বিষয়টিকে তখন যানটির ব্যাটারিতে 'শর্ট সার্কিট' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিলো সাবমেরিন থেকে। সেসময় মিশন বাদ দিয়ে তখনই তাদের ফিরে আসতে বলা হয়েছিলো। নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র গত বছর বলছিলেন, সাবমেরিনটির ব্যাটারিতে পানি ঢুকেছিল; যার কারণে শর্ট সার্কিট হয়েছে। গত বছর নভেম্বরের ১৫ তারিখ স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটায় সাবমেরিন থেকে জানানো হয় যে, সকল ক্রু ভালো আছেন। এটাই ছিল সাবমেরিনটির সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ। পারমাণবিক বিস্ফোরণের উপর নজরদারি করে এমন একটি সংগঠন এর আট দিন পর জানিয়েছিল যে তারা সাবমেরিনটির সর্বশেষ অবস্থানের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে এক ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছে। নৌবাহিনীর কমান্ডার গেব্রিয়েল আত্তিস নিশ্চিত করেছেন যে সাবমেরিনটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। কী বলছে আর্জেন্টিনার সরকার ও স্বজনেরা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সেটি উদ্ধারের 'ক্ষমতা নেই' আর্জেন্টিনার সরকারের। তিনি বলছেন, "সাবমেরিনটি সমুদ্রপৃষ্ঠে তোলা অসম্ভব নয় তবে তা খুবই জটিল ব্যাপার। আর তার মানে হল তা খুবই ব্যয়বহুল।" ঠিক কী কারণে সাবমেরিনটি এভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সেটি পরিষ্কার নয়। কিন্তু সেটি উদ্ধার করার আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনেরা। সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার ঠিক এক বছরে তারা ক্রুদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পরদিনই সাবমেরিনটি খুঁজে পাওয়া যেন তাদের জন্য বাড়তি কিছু বয়ে এনেছে। সাবমেরিনটির একজন ক্রুর বাবা হোর্হে ভিয়ারিয়াল বলেছেন, "আমরা ওদের খুঁজে পেয়েছি। আমরা এখন সত্যের খোঁজ করবো। আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু।" স্বজনেরা যেকোনো মূল্যেই হোক এটি উদ্ধার করার দাবি জানাচ্ছেন। অন্যান্য খবর: ভিডিও গেম ফতোয়া নিয়ে ইমামরা কেন বিভক্ত বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের অভিনব প্রতিবাদ
আর্জেন্টিনা এক বছর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত সাবমেরিন উদ্ধার করতে 'সক্ষম নয়'
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইরানে জেনারেল কাশেম সোলেইমানের শোক মিছিলে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ ইরান প্রেসের তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আহভাজ শহরে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আগামী কয়েকদিন ধরে তার এই শেষকৃত্যানুষ্ঠান চলবে। সাতই জানুয়ারি তাকে নিজ শহর কেরমানে দাফন করা হবে। শনিবার ইরাকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, 'আমেরিকার মৃত্যু চাই'। আরো পড়ুন: সোলেইমানির জানাজার পর বাগদাদের গ্রিন জোনে হামলা আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে সোলেইমানির জানাজায় শ্লোগান ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি ট্রাম্পের সোলেইমানি হত্যার কী প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান? শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার মার্কিন এক হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ মোট ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন। শনিবার ইরাকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদের গ্রিন জোনে হামলা ইরাকেজেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজার বিশাল মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পরে বাগদাদ অঞ্চল কেঁপে ওঠে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে। সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইরাকের রাজধানীর উত্তরাংশের বালাদ বিমান বন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়, যেখানে মার্কিন বাহিনীর বাস। তবে, ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ইরানের নেতারা কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সোনার দাম বৃদ্ধি সোলেইমানি হত্যার প্রভাব? এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের সংখ্যা বেড়েছে যে কারণে হেফাজতের ভিডিও পোস্ট করে বিড়ম্বনায় ইমরান খান শোক মিছিলে অংশ নেয়া অনেকের হাতে ছিল কাশেম সোলেইমানের ছবি ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তেহরান যদি আমেরিকার নাগরিক কিংবা মার্কিন সম্পদের উপর হামলা চালায় তাহলে তার জবাবে ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইটকে "টার্গেট করছে" এবং "খুব দ্রুত এবং খুব কঠোরভাবে" হামলা চালানো হবে। একটি ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান তার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।এই ধারাবাহিকতায় এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাসেম সোলেইমানি: শোকাভিভূত ইরানে মৃতদেহ, শোক মিছিলে হাজার হাজার মানুষ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল হোসনি দালান চত্বরটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত দুইটার দিকে তাজিয়া মিছিল বের করারি প্রস্তুতির সময় হোসেনী দালন চত্বরে পরপর তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও কালো স্কসটেপ দিয়ে পেচানো অবিস্ফোরিত আরও দুটো বোমা পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মো: আজিজুল হক। মি: হক জানান, বোমাগুলো গ্রেনেড জাতীয়। সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারা , কিভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কোন ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজিজুল হক। তবে পুলিশ বলছে তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল যা এর আগে কখনও নেয়া হয়নি। ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদের দৌহিত্র ইমাম হোসাইন স্মরনে হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে আশুরা পালন করে থাকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা । মূলত শিয়া সম্প্রদায় এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে । আজ আশুরা উপলক্ষেই তাজিয়া মিছিলের জন্য মধ্যরাতের পর শিয়া ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হচ্ছিলেন হোসেনী দালান চত্বরে।
তাজিয়া মিছিলে বোমা, একজন নিহত
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ইমরুল কায়েস দল থেকে বাদ পড়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিনি জানান, "আমি নিজেও জানি না আমি কেনো দলে নেই, ভালো খেলার পর সিরিজগুলো কেনো খেলতে পারি না এ বিষয়ে আমি পরিষ্কার না।" "জিনিসগুলো ক্লিয়ার হওয়া আমার জন্য ভালো। কারণ আমি নিজেও তাহলে সে অনুযায়ী অনুশীলন বা প্রস্তুতি নিতে পারি," চট্টগ্রামে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন ১০ বছর ধরে এভাবেই খেলে আসছেন তিনি, "গত দশ বছর ধরে তো এভাবেই খেলে আসছি। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি থাকি। যখনই সুযোগ পাই জাতীয় দলে খেলার জন্য, ভালো করার চেষ্টা করি।" প্রধান নির্বাচক মিহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য দল ঘোষণার ক্ষেত্রে বলেছেন এখানে ফর্ম আর কন্ডিশন ভিন্ন। "ফর্ম ও কন্ডিশন বিবেচনায় ওকে বাদ দেয়া হয়েছে, কিন্তু এখানে কাউকে উপেক্ষা করা হয়নি," বলছিলেন মি: নান্নু। "তিনটা ওয়ানডের জন্য যারা যাচ্ছে ওদের প্রস্তুতি কতটুকু এটা দেখতে হবে, এর সাথে দেখা হবে যারা যাবেনা তাদেরটাও পর্যবেক্ষণ করা হবে, এরপর আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বকাপের দল বিবেচনা করা হবে," মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আরো পড়ুন: শুরুতেই কেন বিতর্কে পড়লো এবারের বিপিএল ক্রিকেট বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যর্থ বিপিএল? ইমরুল কায়েসের ওয়ানডে পারফরম্যান্স শেষ ১০টি ইনিংসে ইমরুল কায়েস মোট রান করেছেন ৪১৫। যার মধ্যে আছে দুটো সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুটো অর্ধশতক আছে,একটি আফগানিস্তান ও একটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটো ইনিংসে, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি করে ইনিংসে ইমরুল দুই অঙ্কের রান পাননি। ২০১৮ সালে ইমরুল কায়েসের পারফরম্যান্স কেমন ছিল? ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চার নম্বরে আছেন ইমরুল। খেলেছেন ৮টি ওয়ানডে ম্যাচ। তবে সেরা পাঁচের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট তার। বাকিদের অবস্থা কেমন? নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজের পরিসংখ্যান নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ইমরুল কায়েস। সেই সিরিজে ইমরুল কায়েস ৩ ম্যাচ খেলে করেন ১১৯ রান, যেখানে তামিম ইকবাল ৩ ম্যাচ ব্যাট করে ১১৫ রান তোলেন। সাকিব আল হাসান ছিলেন তৃতীয়, ৩ ম্যাচে তার সংগ্রহ ছিল ৮৪ রান।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট: ইমরুল কায়েসের আক্ষেপ ও নিবার্চকদের ব্যাখ্যা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট ও খেলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়শই তবে তারচেয়েও বেশী চোখে লেগেছে দুটো ম্যাচেই তামিম ইকবালের বোল্ড আউট। প্রথম ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গা আর দ্বিতীয় ম্যাচে ইসুরু উদানার বলে আউট হওয়ার আগে তামিম পিচেও লুটিয়েছেন ইয়র্কার লেংথের বল সামলাতে গিয়ে। এ নিয়ে তামিম ইকবাল টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হলেন, যা বিশ্ব ক্রিকেটে একটি রেকর্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো ওপেনারই টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হওয়া দূরের কথা, কেউ এমনকি টানা পাচঁ ম্যাচেও বোল্ড হননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ রানে আউট হন তামিম। তামিম ইকবাল কি দলের বোঝা? বাংলাদেশী ওপেনারের সাম্প্রতিক ফর্ম দলে তার অন্তর্ভূক্তিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। বিশ্বকাপেও তামিমের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, তবে দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার অনুপস্থিতিতে তাকেই শ্রীলঙ্কা সফরে দলের ক্যাপ্টেন বানিয়ে দেয়া হয়ে। তামিম ইকবালের শৈশবের ক্রিকেট শিক্ষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি অবশ্য মনে করেন, তামিম দলের বোঝা নন। "সমস্যা আছে অবশ্যই তামিমের, ওর আত্মবিশ্বাসে সবচেয়ে বড় সমস্যা। সে ফুটওয়ার্ক, টাইমিং এসব নিয়ে দ্বিধায় ভোগে। তবে দলের জন্য বোঝা, এটা ভাবা ভুল।" কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সমালোচনা হলে তাদের ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে পড়ে বলে মনে করেন বর্তমানে বিসিবির জন্য কাজ করা এই কোচ। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, "তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আরো কিছুদিন চলতে পারবে না, কারণ তার একজন যোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন।" "তামিমের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে, অনেক বছর ধরে ভালো ক্রিকেট খেলেছেন। তাই আমার কাছে মনে হয় ঠিকমতো সমস্যা নিয়ে কাজ করলে, তার জন্য ফিরে আসা সহজ হবে।" বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, "আমার মনে হয় খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে ওর। ওকে বাদ দেয়ার চিন্তা না করে বরং কত তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরতে পারে তা ভাবা উচিত। ওর জায়গায় কে ভালো খেলছে এটা দেখতে হবে।" "এমন যদি হতো অন্য রিপ্লেসমেন্ট আছে, সেক্ষেত্রে বাদ দেয়া যেতে পারে। এখন বয়সের প্রাইম টাইমে আছেন তিনি। বিকল্প তৈরি না করে বাদ দিলে আত্মঘাতী হতে পারে," বলছেন ফারুক আহমেদ। ক্রিকেট সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনি মনে করেন, দু'টো বা একটি সিরিজ খারাপ খেললে একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেয়া দলের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত হবে না। তিনি বলেন, "বিশ্বকাপে তামিম ভালো শুরু করে শেষ ভালো করতে পারেনি। দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানের ওপর ভরসা রাখতে হবে। চার বছর ভালো সার্ভিস দেওয়ার পর চার-পাচঁ ম্যাচের ব্যর্থতায় বাদ দিলে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।" তবে আরিফুল ইসলাম রনি মতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজে হয়েতো তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ ছিল, যা নির্বাচকরা ভেবে দেখতে পারতেন। "সিনিয়র কোনো ক্রিকেটারকে একটা-দুটো সিরিজ খারাপ খেললেই বাদ দেয়া কঠিন, এটা ঠিক না যে সে আজীবন খেলেই যাবে। একজন তরুণ ক্রিকেটারের চেয়ে তামিমের খানিকটা বেশি সময় প্রাপ্য, কিন্তু তার মানে এই নয় টানা পাঁচ সিরিজ খারাপ খেললেও তাকে খেলাতে হবে।" তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যানদের অনেকেই তামিমের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে খুবই হতাশ। ২০১৮ সালের ২৮শে জুলাই তামিম শেষবার শতক হাঁকান ওয়ানডেতে ক্রিকেটের কিছু খবর: তামিম ছাড়া ক্রিকেটে অন্য যারা এক হাতে ব্যাট ধরেছিল তামিম যেভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার হয়ে উঠলেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: তামিম ইকবালের চোট ও ওভালের প্রস্তুতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হওয়া নিয়ে তামিমের ব্যাটিং নিয়ে হাস্যরস করেন অনেকে লাসিথ মালিঙ্গার বলে তামিম ইকবাল বোল্ড হওয়ার পর তামিম ইকবালের খারাপ সময় তামিম ইকবালের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় মূলত বিশ্বকাপের সময়। অনেকটা নিয়মিতভাবে ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত বড় রান করতে ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু তারও আগে থেকেই মূলত তার ব্যর্থতার শুরু - সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই। সেই সিরিজে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে তামিমের রান যথাক্রমে ৫, ৫, ০। এর আগে টানা চার বছর ফর্মে ছিলেন তামিম। কিন্তু প্রশ্ন ছিল তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে - তার থিতু হওয়ার ধরণ অন্য ব্যাটসম্যানের ওপর চাপ ফেলে, এমন অভিযোগও ছিল। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস নেই তামিমের। টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হয়েছেন তামিম ইকবাল কেবল অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট ৮০ অতিক্রম করে। স্ট্রাইক রেট ও ব্যাট হাতে ফর্মে না থাকা ছাড়াও কখনো কখনো তামিম নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যানকে রান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েও ফিরে গিয়েছেন ক্রিজে, ফলে বলি দিতে হয়েছে নন-স্ট্রাইকারের উইকেট - এমন অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। তামিম ইকবাল শেষবার শতক হাঁকিয়েছেন ২০১৮ সালের ২৮শে জুলাই - এক বছর আগে। ওই সিরিজে তামিম ইকবালের দুটো শতক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর তামিমের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮১ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই - সিলেটে। তবে তামিম কিছুটা ভালো করেছিলেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৬১ রান তাড়া করতে নেমে তামিম করেন ১১৬ বলে ৮০ রান, সেই একই ইনিংসে বাকি তিন ব্যাটসম্যানই ১০০-এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ৫ ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জেতান।
তামিম ইকবাল: টানা ৬ বার বোল্ড আউট হওয়া ক্রিকেট ওপেনারকে কি বাদ দেয়ার সময় এসেছে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
শূন্য শ্রেণীকক্ষ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার কিছু স্কুল খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে এগুলো মূলত সরকারি স্কুল এবং বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধই আছে। যেসব স্কুল খুলেছে তাতে সোমবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে এখনো অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরে দুশোর মতো স্কুল খুলে দিয়েছে তারা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: এক নজরে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতিহাস যেভাবে বদলে যাবে ভারতের অধীন কাশ্মীর কাশ্মীর: 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের তুলে নেয়া হচ্ছে' সন্তানদের বাড়িতেই রাখতে চাইছেন অভিভাবকরা কিন্তু সাংবাদিকরা অনেক স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাননি। অভিভাবকরা বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। ব্যাপক নিরাপত্তা আয়োজন সত্ত্বেও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে এবং প্রায়ই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে। কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড যার দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত শাসিত অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ মর্যাদা পেলেও সম্প্রতি তাকে দু ভাগ করে রাজ্যের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অংশ দুটিই এখন সরাসরি দিল্লীর শাসনে রয়েছে। তিন দশক ধরে এই কাশ্মীরে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা, যাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। শুধুমাত্র সরকারি স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে মূলত কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে এবং সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি টেলিফোন লাইন কিছুটা চালু হলেও বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ার পটভূমিতে মোবাইল ফোন সেবা ও ইন্টারনেট এখনো বন্ধ আছে। বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দেয়ার পরিবর্তে বাসায় রাখতেই স্বস্তি পাচ্ছেন, বিশেষ করে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না হওয়া পর্যন্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একজন স্কুল শিক্ষককে উদ্ধৃত করেছে, যিনি বলেছেন - এ ধরণের 'অনিশ্চিত অবস্থায়' তারা শিক্ষার্থীদের স্কুলে আশা করেন না। তিনি আরও বলেন যে, অনেক স্কুল এখনো বন্ধ বা শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী খুবই কম এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে খবর সংগ্রহ করাও কঠিন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিনিয়তই কাশ্মীর নিয়ে তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেই চলেছেন। তার মতে, এটা দরকার ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু কাশ্মীরের জনগণ ও নেতাদের মতে, এটা বিশ্বাসঘাতকতা এবং এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের সাথে কোন আলোচনাই হয়নি। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা থেকেই বন্দী আছেন সেখানকার সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতারা।
কাশ্মীর: স্কুল খুলেছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা কোথায়?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে শিশু উন্নয়ন খাতে বাজেট অনেক কম। "সেটা অনেক দেশে থাকলেও বাংলাদেশে নেই," বিবিসি বাংলাকে বলেছেন আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সংস্থার এই কর্মকর্তা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন সহ বিভিন্ন রকম নিপীড়নের পরিমাণ বাড়েছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশু সুরক্ষা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বড় ধরণের বাজেটের প্রয়োজন। "শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রয়োজনীয় বাজেট ও অধিকতর বরাদ্দ এবং দিক-নির্দেশনা থাকলে পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।" শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য দেশের বাজেটে আরও বেশি বরাদ্দ থাকা দরকার বলে মনে করেন মিস্টার ইকবাল। বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছর ধরে বাজেটে শিশুদের জন্য যে বরাদ্দ থাকে সেটা মূলত শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা খাতের জন্য। এই খাতগুলোয় বরাদ্দ আক্ষরিক অর্থে বাড়লেও বাজেটের অন্যান্য খাতের তুলনায় বরাদ্দ কমেছে বলে জানান মি. ইকবাল। এ কারণেই বাংলাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতিতে লক্ষণীয় কোন পরিবর্তন আসছে না বলে তিনি মনে করেন। মিস্টার ইকবাল বলেন, বাংলাদেশে ৫৫ লাখ শিশু এখনও শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে। এদের মধ্যে কেউ একেবারেই স্কুলে যায়নি আবার কেউ ভর্তি হলেও পরে ঝরে পড়েছে। আবার শিশু মৃত্যুর হার আগের চাইতে কমলেও এখনও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এই হার অনেক বেশি বলে তিনি জানান। আরও পড়তে পারেন: ইন্দোনেশিয়ার যে গ্রামে মা ছাড়াই বড় হচ্ছে শিশুরা শিশু ধর্ষণের ঘটনা কি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে? 'উত্যক্তকারী, প্রতিবেশীদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার ২১২ শিশু' দেশে শিশুশ্রম বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও এখনও অনেক শিশুকে কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে শিশু সুরক্ষা পরিস্থিতি বিগত যেকোনো সময়ের চাইতে অনেক খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে শিশুর ওপর নির্যাতন, যৌন হয়রানি, হত্যা এমন আরও নানা বিষয় অনেক উৎকণ্ঠার পর্যায়ে গেছে বলে তিনি জানান। "এটা ঠিক যে শিশু নির্যাতন নতুন করে শুরু হয়নি। এটা আগেও ছিল। কিন্তু এখন আমরা এটা বাড়তে দেখছি। আগের চাইতে বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমে বেশি আসছে এটা যেমন ঠিক তেমনি, শিশু নিপীড়নের সংখ্যাও আগের চাইতে বেড়েছে,"- বলেছেন মিস্টার ইকবাল। তার মতে, শিশুদের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দটা হতে হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষার মতো বিভিন্ন খাতের মধ্যে দিয়ে। "কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এই বরাদ্দ মাত্র ৫% -এ নেমে এসেছে। একই চিত্র শিক্ষাখাতেও। যেটা এবারে নেমে এসেছে ১১.৮% শতাংশে।" দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির শতাংশে সবচেয়ে কম বাজেট বরাদ্দ দিয়ে থাকে। অথচ ইউনেস্কোর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে, একটি দেশে শিশু শিক্ষার বরাদ্দ থাকা উচিত দেশটির মোট বাজেটের ২০%। এ ব্যাপারে আশিক ইকবাল মনে করেন, যেহেতু এক ধাপে বাজেট বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই ২০২৫ সালকে যদি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তাহলে বাজেট বাড়ানো যেতেই পারে। বাজেটে মূলত দুটো জায়গায় বরাদ্দের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশে শিশুদের শিক্ষাখাতে বাজেট প্রয়োজন অনুপাতে বাড়েনি। তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে সরকার বড় আকারে সারাদেশে প্রচারণা চালাতে পারে। সেটার জন্য অবশ্যই বড় ধরণের বাজেট প্রয়োজন।" এছাড়া বাংলাদেশে যে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, সেটাকে খুবই দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন আশিক ইকবাল। শিশু বিষয়টি শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। এখন সেই মন্ত্রণালয়ে মহিলা বিষয়ক আলাদা অধিদফতর থাকলেও শিশুদের জন্য আলাদা কোন অধিদফতর নেই। যেটা হওয়া খুবই জরুরি বলে তিনি মনে করেন। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে শিশু উন্নয়ন খাতে বাজেট অনেক কম। এগুলো প্রতিষ্ঠা করার জন্য বড় ধরণের বাজেটের প্রয়োজন। তাই শিশু সুরক্ষা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সেই বাজেট আজ না হয় কাল সরকারের কাছে থেকে আসবে সেই আশাই করছেন আশিক ইকবাল।
মানবাধিকার কমিশনের মত শিশুদের সুরক্ষায় শিশু অধিকার কমিশন গঠনের দাবি
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই এই হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। এই বিবৃতির পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুয়াম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সংবাদে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই এমন ক্ষুদ্রকায় পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে, যা কোন ক্ষেপণাস্ত্রের ভেতরে বসিয়ে সেটিকে কার্যকর করা সম্ভব হবে। আরো পড়ুন: গৃহকর্মী আনার এক সার্ভিস নিয়ে সৌদি আরবে বিতর্ক ভারতে গরু নিয়ে তুলকালাম, চামড়া শিল্প নিয়ে উদ্বেগ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন পোস্টের খবর সঠিক হলে, উত্তর কোরিয়া সত্যি পরমাণু অস্ত্র গড়ে তুলেছে এবং মনে করা হচ্ছে, ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত হানতে পারবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এদিকে, মাত্র দুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার ওপরে নতুন করে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ।
মার্কিন বিমান ঘাঁটি গুয়ামে হামলার কথা ভাবছে উত্তর কোরিয়া
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার হুমকি, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালাবে, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। এ সবকিছুই ঘটছে যখন উত্তর কোরিয়া এমন একপ্রকার পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সফল হয়েছে, যা আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা যাবে। ফলে পুরো বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্রদের। একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যাবার সম্ভাবনা কতটা? কতটা বিপদ অপেক্ষা করছে সামনে? আরো পড়তে পারেন: 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা' ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'রিফিউজি' থেকে ভারতীয় হয়ে ওঠার ৭০ বছর তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে এখনই ততটা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তারা কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছেন। ১. কোনো পক্ষই যুদ্ধ চাইছে না। কারণ কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ কারো জন্যই কোনো সুবিধা আনবে না। উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বেধে গেলে ক্ষমতার আসন নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। উত্তেজনাকর মুহূর্তে একটি ভুলবোঝাবুঝি থেকেই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন বিবিসির যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আরো বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে তা উত্তর কোরিয়ার জন্য হবে আত্মঘাতী। আবার ঠিক এই কারণেই তড়িঘড়ি পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে চাইছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। কারণ আর যাই হোক, তিনি লিবিয়ার গাদ্দাফি বা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্য বরণ করতে চান না। আবার যুক্তরাষ্ট্রও সহজে উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালাবে না। কারণ তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটবে, বিশেষ করে সাধারণ আমেরিকান আর সৈনিকদের। সর্বোপরি, ওয়াশিংটন এমন কোন ঝুঁকিতে যেতে চায় না, যার ফলে আমেরিকান ভূখণ্ডে কোন পারমাণবিক হামলা হতে পারে। ২. শুধু কি কথার লড়াই? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, সেটা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যতিক্রম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র পুরোদমে যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। মার্কিন একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, উত্তেজক কথাবার্তা বাড়ছে মানে এই নয় যে, আমাদের অবস্থানও বদলাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দুই দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর, জাতিসংঘের মাধ্যমে অবরোধ আরোপের সেই পুরনো পথেই হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনো কূটনীতিকরা আশা করছেন, রাশিয়া আর চীনের সহায়তায় উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনা যাবে। যদিও কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, এরকম উত্তেজক পরিস্থিতিতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকেও একটি যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে ৩. আগেও এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজে ক্রাউলে যেমনটা বলেছেন, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার সশস্ত্র যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তখন পারমাণবিক কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল দেশটি। তবে কূটনীতি দিয়েই তা সমাধান করা হয়েছে। এরপর অনেকবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সেগুলো কখনো বাস্তব হয়নি। আর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছেন, তাও একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত নয়। এটাই যা একটু আশঙ্কার যে, তিনি হঠাৎ করে কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন কিনা। তবে তার এ ধরনের কোনো কাজে নিশ্চয়ই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বাধা দেবেন। আর তাই মি. ট্রাম্পের এরকম ব্যতিক্রমী আচরণের কারণে করো উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই বলেই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। আর তাই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াও আগাম একটি যুদ্ধের আশঙ্কায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, এখনো পরিস্থিতি সংকট সময়ে পড়েনি। আশা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে। ৪. চীন কি চায়? উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র প্রতিবেশী চীন। অনেক কিছুর জন্যই দেশটি চীনের উপর নির্ভরশীল। তাই বড় কোন যুদ্ধে জড়াতে হলে চীনের মনোভাব বিবেচনা করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। ইউনিভার্সিটি অফ মালয়েশিয়ার চীন বিষয়ক বিভাগের একজন ফেলো, এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার বিষয়ক গবেষক ড. মাহমুদ আলী বলছেন, যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য সহায়তাতেই উত্তর কোরিয়া এতদিন ধরে টিকে রয়েছে। বতর্মান বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে। তিনি বলছেন, চীন ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছে। চীন চায়না উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাক। তাহলে এমন একটি সংযুক্ত, অবিভক্ত কোরিয়া সৃষ্টি হবে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা একেবারে চীনের সীমানায় চলে আসবে। আবার উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত হলে কোটি কোটি মানুষ এসে চীনে আশ্রয় নেবে। তখন একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হবে। চীন সেটি চায় না বলে স্থিতিশীলতা তাদের কাম্য। এটাই হচ্ছে আশাবাদের বিষয়। বিবিসি বাংলার আরো খবর: প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি নতুন ভিডিও সার্ভিস আনছে ফেসবুক মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে পুরুষের অজ্ঞতা আর কত দিন?
উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
ফিটনেসে সবার চেয়ে এগিয়ে মুশফিকুর রহিম এমনিতেই ফিটনেস টেস্টে জাতীয় দলে তাকে হারানোর মতো নেই কেউই। তবে বিশ্বকাপ ঘিরে সেই ফিট মুশফিকই, নিজেকে যেন নিয়ে গেছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এটা কি বড় মঞ্চ সামনে রেখে বড়সড় কোন প্রস্তুতি? ''অবশ্যই, তাতো বটেই। বিশ্বকাপ সামনে রেখে একটু আলাদা করেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। হালকা ইনজুরি ছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সময়টা কাজে লাগিয়েছি।'' এরপর একটু মজা করেই মুশফিক বলে বসেন বয়সটাতো আর কম হলনা! নিজেকে এখন আরো পরিণত মনে করেন মুশফিক তাইতো! সেই ২০০৫ সালে সতের পেরুনো যুবা মুশফিকুর রহিম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে। এরপর প্রায় ১৪ বছর পেরুতে চললো। নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে ৩২ ছুঁতে যাওয়া পরিণত এক ক্রিকেটার। 'ভালো-মন্দ মিলিয়ে কেটেছে, আর এটাই ক্রিকেট। তবে এবার আমি মনে করি এই ফরম্যাটে নকআউট পর্বে যাবার ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের। আর নকআউট পর্বে গেলে যেকোন কিছুই হতে পারে। কে কি ভাবছে জানি-না তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বড় চিন্তা করছি এই বিশ্বকাপ নিয়ে।' পঞ্চপান্ডব নির্ভর দল? এই পাঁচজনকে ঘিরেই বিশ্বকাপ পরিকল্পনার বড় অংশ বাংলাদেশের শুধু মুশফিক নন, আপামর ক্রিকেট ভক্তরাও যে এবার বিশ্বকাপ ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখছেন সেটা কিন্তু ঐ পাঁচজনের উপর বাজি ধরেই। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও রিয়াদ-অনেকেই আদর করে তাঁদের পঞ্চপান্ডব ডাকেন। তা মহাভারতের চরিত্রের মতোই বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গেও জড়িয়ে আছেন তাঁরা। পাঁচ জনই রয়েছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। আর গত ক'বছরে জেতা ম্যাচগুলোর প্রতিটির সঙ্গে কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে আছে এই ৫ জনের নাম। মুশফিকুর রহিমের কথাই ধরা যাক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকার তিনে মুশফিক ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩৪.৯৫ সেখানে গত দু'বছরে তার ব্যাটিং গড় ৫২.৬১। এ সময়ে ৩৪ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে ১৩৬৮ রান করেছেন। আর কেন তিনি দলের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড হয়ে উঠেছেন সেটা বোঝা যায় গত ২৪ মাসে রানচেজের সময় তার ব্যাটিং গড়ের দিকে তাকালে; ৬১.৪৪ নি:সন্দেহে ঈর্ষণীয়। তবে মুশফিক অবশ্য দলগত পারফরম্যান্সেই বরাবর বিশ্বাসী। 'এটা একটা ব্লেসিং যে আমরা ৪-৫ জন অনেক বছর ধরে একসাথে খেলছি। তবে এসময়ে তরুণরাও কিন্তু অনেক ইমপ্রুভ করেছে। তারা যদি কন্ট্রিবিউট রাখতে পারে, তাহলে অন দ্য ডে আমরা যেকোন টিমকে হারাতে পারি।' কিন্তু এবার শেষ করতে পারবেন তো? ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে ১ রানে হার এখনো পোড়ায় কিছু অতীত পিছু ছাড়ে না কখনোই। কিছু স্মৃতি যায় না ভোলা কিছুতেই। হলোই বা টি-টোয়েন্টি, মুশফিক কি ভুলতে পারবেন ভারতের বিপক্ষে ২০১৬-এর বেঙ্গালুরু দু:খ? বরং তীরে এসে তরী ডোবার এই ভূত ফিরে এসেছে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়। এই ফিনিশিংয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই মুশফিক খানিকটা রক্ষণাত্মক। 'আমি এখন মনে করি আগের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচিউরড। তাছাড়া এরপর কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমি ম্যাচ শেষ করে এসেছি। আসলে এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমি।' কিন্তু সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও তো আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ খেলেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি? আর তার ব্যাটিং অর্ডার যেহেতু পাঁচে থিতু হয়েছে, বিশ্বকাপেও তো এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এবার আক্রমণাত্মক মুশি। 'শেষ ৪-৫ বছর আমি যেভাবে খেলছি, বিশেষ করে শুধু রান করা নয়, স্ট্রাইক রোটেট করা, ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলা, এসবে যথেষ্ট উন্নতি করেছি। তবে উন্নতির তো শেষ নেই। আমি শুধু চাইবো বিশ্বকাপে ওরকম সিচুয়েশন আসে তাহলে আমিই যেন সেই ব্যক্তিটা হই যে কি-না ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বের করে নিয়ে আসতে পারি।' মুশফিকের জেদটা টের পাচ্ছেন তো? শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন মুশফিকুর রহিম গন্তব্য ইংল্যান্ড ইংল্যান্ডেই জাতীয় দলে অভিষেক। সেখানে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটাও দারুণ কেটেছে। ৪ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৬৩ রান। তারপরও আক্ষেপ মুশির কন্ঠে। বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের (৫৪০ রান) পরই ২য় সর্বোচ্চ ৫১০ রান তাঁর। পুরো ক্যারিয়ারে ৬টি শতক থাকলেও বিশ্বকাপের মঞ্চেই যে এখনো ছোঁয়া হয়ে উঠেনি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। 'সেখানে আসলে টেস্টে খুব ভালো করতে পারিনি। তবে এবার ইচ্ছে আছে ভালো কিছু করার। আর ইংল্যান্ডে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। চাইবো বিশেষ কিছু করতে।' বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের (২০৯) রেকর্ডটা নিজের কাছে রাখা মুশফিক জানিয়েছেন ব্যাটসম্যান ও উইকেটকীপার দুই ভূমিকাতেই নিজেকে দেখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। একইসাথে জোর দিয়ে বললেন-'এটাই রাইট সময় যে বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে পারি।'
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: “আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক বড় চিন্তা করছি”-মুশফিকুর রহিম
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
ছোটবেলা থেকে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ত্রিশবছর বয়স পর্যন্ত অটিজমের চিকিৎসা পাননি আব্দুল পারিশ ছোটবেলা থেকেই তার আচার-আচরণে বিভিন্ন রকম অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেতে থাকে। এ অববস্থাতেই কেটে যায় বছরের পর বছর। এই দীর্ঘসময় আব্দুল পারিশকে কোন ধরণের চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পরিবারটি প্রথমদিকে বুঝতেই পারেনি তার সমস্যা মূলত কি। পরবর্তীতে তারা পাবনার মানসিক হাসপাতালে গেলেও সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পারিশের ভাই অহিদুল ইসলাম জানান, "স্বাভাবিক মানুষের যে চলাফেরা, মানুষকে সঙ্গ দেয়া, পারিশ এমন কিছু করতো না। সবসময় একা একা থাকতো। খাবার খেতো না। মায়ের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতো।" আব্দুল পারিশের বাড়ি থেকে অল্প দূরত্বে থাকেন আরেক যুবক রঞ্জন চন্দ্রের পরিবার। সেখানে গিয়ে দেখা গেল রঞ্জনের পা শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা। গত ৫ বছর ধরে একই অবস্থায় রাখা হয়েছে তাকে। দুই- তিনমাস পর পর তার পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয় বলে জানান তার বাবা রুপন চন্দ্র। কিন্তু শেকল দেয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তার ছেলে আশে-পাশের বাড়িঘরে যায়, লোকজনকে বিরক্ত করে। পরে সবার চাপে তিনি পায়ে শিকল দিয়ে রেখেছেন। ছেলেকে স্কুলেও ভর্তি করলেও অন্য ছাত্ররা অভিযোগ দেয়ায় ফিরিয়ে আনতে হয়। আরও পড়ুন: কিভাবে অটিজম শনাক্ত করবেন? পাঁচ বছর ধরে পায়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয় রঞ্জন চন্দ্রকে। তার বাবার বক্তব্য সে অটিজমে আক্রান্ত। পরে রঞ্জনকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে জানতে পারেন তার ছেলের "অটিজম"। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এখনো অনেক পরিবারই আছে যারা অটিজম সঠিকভাবে বুঝতে বা শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে সেসব পরিবারের জন্ম নেয়া বিশেষ শিশুটিকে বছরের পর বছর সমাজের সবার কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয়। সামাজিক কোনও আচার অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ তো দূরের কথা অনেক ক্ষেত্রে সমাজের মানুষেরাও তাদের দূরে সরিয়ে রাখে এক ধরনের কুসংস্কার থেকে। এখনো বাংলাদেশে বহু পরিবার আছে যেখানে অটিজম আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার ব্যাপারে পুরনো মানসিকতা খুব একটা বদলায়নি। দ্রুত সনাক্ত হলে অটিজমের শিশুদের উন্নতি হতে পারে চিকিৎসকরা বলছেন, অটিজম কোনও রোগ নয়। এটি মস্তিষ্কের বিকাশ জনিত এক ধরনের সমস্যা যার কারণে একটি শিশু সামাজিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনা। কিন্তু দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে এবংউপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারলে এই শিশুরাও অন্যান্য শিশুদের মত উন্নতি করতে পারে।। বাংলাদেশে ঠিক কতজন শিশু অটিজমে আক্রান্ত-সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে তার কোনও সঠিক পরিসংখ্যান এখনো নেই। ২০০৯ সালের এক হিসেব অনুযায়ি দেশের, ১ শতাংশ শিশু অটিজমে আক্রান্ত । এরপর ২০১৩ সালের এক পরিসংখ্যানে বলা হয় ঢাকা শহরে ৩ শতাংশ শিশু অটিজমে আক্রান্ত। তবে বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ অনুসারে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দেশে অটিজম শিশুর সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার জন। এবং মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার জন। দেশে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বর্তমানে অনেক কর্মকাণ্ডই পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু অটিজম আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ সীমিত। চিকিৎসকরা বলছেন, অটিজম নিয়ে অনেকের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অটিজম সংক্রান্ত ইন্সটিটিউট ইপনাতে চিকিৎসার পাশাপাশি রয়েছে অটিজম স্কুল। এখানে প্রতিদিনই গড়ে একশ' থেকে দেড়শ রোগী আসেন আউটডোরে চিকিৎসা নিতে। অটিজম নিয়ে মানুষের ধারণা কতটা বদলেছে এ বিষয়ে ইন্সটিটিউটের প্রধান শাহীন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্রামের দিকে অনেকেই জানেননা অটিজম কি, সেটা যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নয় সেটা বুঝে উঠতে পারেনি। অনেকে এখনো বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের পাগল মনে করে, আবার অনেকে মনে করে যে, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, মানে বোকা। কিন্তু এসব ধারণার কোনটাই ঠিক না।। বহুদিনের প্রাচীন ধারণা মোতাবেক বেশিরভাগ পরিবারই তাদের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা বা শিক্ষার বাইরে রাখছে। তবে সে অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ডক্টর শাহীন আখতার বলেন, ''এখন অনেক বাবা মা-ই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসার জন্য ছেলেমেয়েদের এখানে নিয়ে আসছেন'' দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ১৬টিতে শিশু-বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে যেগুলোতে অটিজম শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। তবে, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শহর বা গ্রাম পর্যায়ে রয়েছে কেবল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী সাহায্য ও সেবাকেন্দ্র। ফলে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগগুলো শহরে ঘরে ঘরে যতটা পৌঁছে যাচ্ছে, শহরের বাইরের পরিবারগুলোর কাছে তা অনেকটাই দূরবর্তী সুযোগ-সুবিধার মাঝে আটকে আছে।
অটিজম নিয়ে এখনো কেন মানুষের ধারণা বদলাচ্ছে না?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের শিশুরাও মাস্ক পরছে। গত কয়েকদিনে যেকোনোবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হয়েছে। যেগুলো কিনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রধান দুটি অনুষঙ্গ। গুলশান এলাকার একটি ফার্মেসির বিক্রয়কর্মী নিক্সন মণ্ডলের বলেন, হঠাৎ এই পণ্যগুলোর চাহিদা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ করতে পারছেনা। "সেদিন আমরা কতোগুলো হ্যান্ড স্যানিটাইজার অর্ডার করলাম, মাস্ক অর্ডার করলাম। কোম্পানি থেকেই বলতেসে স্টক আউট। মানুষ হঠাৎ এতো বেশি কিনতেসে আমরাও পাচ্ছি না। বেশি কিনতেসে স্কুলের যে বাচ্চারা তাদের গার্ডিয়ানরা।" করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীন থেকে হওয়ায় এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীনে সফরের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরোপ করেছে। এর জেরে চীনে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রেখেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং এয়ার ক্যানাডা। এছাড়া বহু এয়ারলাইন্স, চীনে তাদের নির্ধারিত যাত্রা বাতিল করেছে। চীনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সতর্কতা দেয়া হয়নি, তবে ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত ১৪ দিনে চীন থেকে আসা সব চীনা নাগরিকদের তালিকা তৈরি করতে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ এবং সিভিল সার্জনদের বলা হয়েছে তারা যেন নিজ নিজ জেলায় এই তালিকা তৈরির কাজ করেন। আরও পড়তে পারেন: সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? করোনাভাইরাস: চীনে থাকা বাংলাদেশিরা কেমন আছেন? মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ায় ব্যক্তিগত সচেতনতার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস যে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সে সময় বাংলাদেশে কাজ করতে আসা অনেক চীনা নাগরিক তাদের দেশে চন্দ্র নববর্ষ উদযাপনে যান। এখন তাদের অনেকেই আবার বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। এই ফিরে আসা চীনা নাগরিকদের স্বাস্থ্য নজরদারিতে রাখার উদ্দেশ্যেই এই তালিকা প্রস্তুত জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমরা এই তালিকাটা তৈরি করেছি অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য। বাংলাদেশে যেসব চীনা নাগরিক ফেরত আসছেন তারা ঠিক কতো তারিখে ফিরেছেন, আমরা আমরা জানতে চাই। তাহলে ওই তারিখ থেকে সামনের ১৪ দিন তাকে পর্যবেক্ষণে করবো। কারণ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর লক্ষণগুলো ১৪ দিনের মধ্যে দেখা দিতে শুরু করে।" এই তালিকা প্রস্তুত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি- এফবিসিসিআইকে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া দেশের সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশদের জানানো হয়েছে যেন তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্য তৎক্ষণাৎ সরবরাহ করতে পারে। ব্রিটেনের বিমানবন্দরে করোভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক পোস্টার। চীনে থাকা অবস্থায় তাদের কোন নাগরিক যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না বলে চীনা সরকার আগে থেকেই নিশ্চিত করেছেন। তারপরও এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে যেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়। করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের উদ্বেগের প্রধান কারণ এটি ভীষণ ছোঁয়াচে। এতোটাই ছোঁয়াচে যে কারও স্পর্শ থেকে, হাঁচি কাশি থেকে এমনকি দুই হাত দূরত্বে পাশাপাশি বসলেও বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে এই তালিকা এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা সতর্কতা আরোপে কতোখানি কাজ করবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী এই নজরদারি করা হচ্ছে। "এই তালিকা করার উদ্দেশ্য হল তাদেরকে যেন নজরদারিতে রাখা। যদি কারও মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণগুলো দেখা যায়, আমরা তাকে সাথে সাথেই আলাদা করে ফেলব। পরীক্ষা করার আগেই। যদি পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, তাহলে সেটা যেন অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।" তাছাড়া তারা এই ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যেমন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন চীনে ভ্রমণ না করেন। এবং চীন থেকে যদি কারও বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা থাকে। তারা যেন সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দেন। বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। স্বস্তির বিষয় হল, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল পর্যন্ত বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা সাড়ে তিন হাজার যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়। এর মধ্যে কোন সন্দেহজনক রোগী মেলেনি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করা হলেও বাংলাদেশের যে একদম ঝুঁকি নেই সেটি বলা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনাভাইরাস: তালিকাভুক্ত চীনা নাগরিকদের নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা রয়েছে, ধর্ষণের ফলে যদি কারো কোনও সন্তান হয়ে থাকে তাহলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে। কিন্তু এটা অনেক কঠিন এবং দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া, বলছেন মানবাধিকার কর্মীরা। (ছবিটি প্রতিকী) যদিও দেশটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, ধর্ষণের ফলে যদি কারো কোনও সন্তান হয়ে থাকে তাহলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রই নেবে। কিন্তু এটাকে অনেক কঠিন এবং দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করছেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী। এদেরকে সহায়তা বা আশ্রয় দেবার জন্যও যথাযথ কোনও ব্যবস্থাও বাংলাদেশে নেই বলে উল্লেখ করেন মিজ গোস্বামী। বাংলাদেশে সরকারের ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু এতিমখানা আছে উল্লেখ করে মিজ গোস্বামী বলেন, যে সন্তান স্বীকৃতি পাচ্ছে না তার বাবা কে, তার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনও রাষ্ট্রীয় কাঠামোই কিন্তু গড়ে উঠেনি। প্রসঙ্গটি সামনে আসে গত সোমবার ঢাকায় এক কুমারী মাতা তার নবজাতককে ছয় তলা ভবনের উপর থেকে ছুড়ে ফেলবার ঘটনা ঘটানোর পর। ওই শিশুটি অবশ্য বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায়। পুলিশের বরাতে জানা যাচ্ছে, কুমারী এই মেয়েটিকে তার এক আত্মীয় ধর্ষণ করেছিল যার ফলশ্রুতিতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাই সন্তানটি প্রসব করবার পর মেয়েটি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া এড়াতেই শিশুটিকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ওই কিশোরীটি মনে করেছিল, এই সন্তানটি জন্ম দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা তাকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। নীনা গোস্বামী বলছেন, “পনের বছরের একটি শিশু যখন মা হয়ে যায়, সে কি জানে মায়ের মমত্ববোধটা কি? শরীর এবং মনে মা হওয়ার জন্য যে পরিপক্বতা আসার কথা সেটাই তার আসেনি। তার আগেই সে চাপিয়ে দেয়া মা হয়ে গেছে”। “এই সমাজে থাকতে হলে যে পরিচয়টা তাকে দিতে হবে তার চাইতে হয়তো এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাই সে ভাল মনে করে এ ধরনের একটা পথ বেছে নিয়েছে”। এর আগে গত বছরও একই রকম একটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে ঢাকায়। সেবার অবশ্য বস্তায় মোড়া একটি শিশুকে একটি ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুটিকে কুকুর কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছিল। ওই শিশুটির মা কিংবা বাবার খোঁজ আজও মেলেনি। তবে নীনা গোস্বামী বলছেন, সামাজিক কারণে শিশু ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটবার নজির বাংলাদেশে থাকলেও এটা খুব বেশী দেখা যায় না।
বাংলাদেশে কুমারী মা বা স্বীকৃতিহীন শিশুর আশ্রয় কোথায়?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
অতিবৃষ্টিতে বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে চাষীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা বলছেন, তাদের শেষ ভরসাও চলে গেলো। অতিবৃষ্টির কারণে সারা দেশেই বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন দুশ্চিন্তা কাজ করছে কৃষকদের মাঝে। তবে সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে,বোরো ধান পাকার এই সময়ে এখন বৃষ্টি বন্ধ হলে বোরো উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এ বছরের এপ্রিলে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সুনামগঞ্জের প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে শত শত সাধারণ মানুষ দিনরাত শ্রম দিয়ে একটি বাঁধ টিকিয়ে রেখেছিলেন। এই বাঁধের কারণে এতদিন টিকে ছিল জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওর। শেষ পর্যন্ত পানির ঢলে বাঁধটি ভেঙ্গে সর্বশেষ হাওরটিও তলিয়ে যায়। প্রায় সব হাওরই পানিতে তলিয়ে গেছে এই হাওর এলাকার কৃষক কল্লোল তালুকদার নিজেও এলাকার অন্যদের সাথে বাঁধ রক্ষায় কাজ করেন। তিনি বলেছেন, ভরসার শেষটুকুও চোখের সামনে পানিতে তলিয়ে তলিয়ে যেতে দেখলেন তারা। "আমাদের এই হাওরে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ফসল ছিলো। এটা ছিলো শেষ ভরসা। কিন্তু রাত দিন বাঁধ টিকিয়ে রাখার কাজ করে সবশেষ ফসলটুকুও পানিতে তলিয়ে গেল। এখন আমাদের আর কোন আশা ভরসা নাই।" গত রোববার পানির ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের প্রায় ২২ হাজার একর জমির বোরো ধান। সুনামগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে ১৩৩টি হাওরের সবক'টিই এখন পানির নিচে। হাওরে বছরের একমাত্র ফসল বোরো নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে মাছও মরে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঐ অঞ্চলের মানুষ। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন,পরিস্থিতি সামাল দিতে ত্রাণ সহায়তাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও এখন অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। উত্তরের কুড়িগ্রাম জেলার ঘোড়াদহ ইউনিয়ন থেকে কয়েকজন কৃষক বলছিলেন, বোরো ফসলের শেষমুহুর্তে এসে টানা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই তাদের ক্ষেতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। "বৃষ্টির কারণে ধান লুটে পড়ে গেছে মাটিতে। আর কিছু ধানে ছত্রাক হয়েছে। সেগুলোর শীষে দানা নাই। অনেক টাকা খরচে করে আবাদ করলাম, এখনতো চিন্তার বিষয়।" শনির হাওর এলাকায় ধান তোলার দৃশ্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের কৃষি বিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক ড: সিরাজুল ইসলাম মনে করেন, যদিও বোরো ফলন এবার ভাল হয়েছে, কিন্তু এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এই পর্যায়ে বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে। তিনি বলছেন, "অতিবৃষ্টি বোরো ধানের জন্য খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। বৃষ্টি বন্ধ না হলে ধান তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। ধান ভালভাবে না শুকালে গুণগত ক্ষতি হবে। বীজ হিসেবে রাখার ক্ষেত্রেও ক্ষতি হবে।" এবার হাওরের ছয়টি জেলাসহ দেশের মোট ৪৫টি জেলায় প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জেই দুই লাখ হেক্টর জমির ধান ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঞ্জুরুল হাসান বলেছেন, হাওর অঞ্চল বাদে দেশের অন্য এলাকায় বোরো ধানে বৃষ্টির প্রভাব সেভাবে পড়েনি বলে তারা তথ্য পাচ্ছেন। তবে তিনিও মনে করেন, বৃষ্টি আরও অব্যাহত থাকলে ধানের ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশে অতিবৃষ্টির কারণে বোরো ধান নিয়ে চিন্তিত হাওরসহ সারাদেশের চাষীরা
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
মাহবুব কবীর মিলন, অতিরিক্ত সচিব। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন যখন বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে জানালেন যে তাকে ওএসডি করা হয়েছে, তারপর থেকেই তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনা। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত তার ঐ পোস্টের ব্যাপারে ৩৫,০০০ রিঅ্যাকশন হয়েছে, ৬,০০০ হাজারের মতো কমেন্ট পড়েছে এবং পোস্টটি ছয় হাজার বারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে। মি. কবীরকে হঠাৎ করে ওএসডি করার পেছনে 'উদ্দেশ্য' নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় যেমন নানা ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, নানা ধরনের 'তত্ত্ব' দেয়া হচ্ছে, তেমনি তাকে সরিয়ে দেয়ার ফলে প্রশাসনে সৎ এবং দক্ষ কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়বেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ফেসবুকে কিছু প্রতিক্রিয়া। যেমন, আরিফ আর হোসেন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "উনি যে মন্ত্রণালয়েই গিয়েছেন, আগাছা সাফ করে সেই মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।" "উনার জন্য আমার একটুও মন খারাপ লাগছে না, ট্রাস্ট মি। বরং খারাপ লাগছে সেই সকল তরুণদের জন্য যারা আজকে পলিসি মেকারের চেয়ারে বসতে পারার পরেও, ভালো কাজ করার সাহসটুকু হারিয়ে ফেললো।" তবে সোশাল মিডিয়ায় মাহবুব কবীর মিলনকে নিয়ে কথাবার্তা কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়নি। রেল মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় তার নেয়া কিছু পদক্ষেপ জন-বান্ধব বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে। টিকিট ক্রয়ে এনআইডির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, অনলাইনে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা এবং রেল বিভাগের নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ফটো বা ভিডিও যুক্ত করে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা চালু করার পর যাত্রীদের জীবন অনেক সহজ হয়েছে বলে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন। ওএসডি‌র সরকারি আদেশ। লক্ষ্যণীয় নামের বানানটি ভুল লেখা হয়েছে। গত ২৫শে মার্চ মি. কবীরকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। দু'হাজার সতের সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজ করার সময় তিনি খাদ্যে মাত্রারিক্ত বিষাক্ত ফর্মালিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা সে সময় প্রশংসা কুড়িয়েছিল। পাশাপাশি, খাদ্যমান পরীক্ষা নানা ধরনের আজগুবি দাবি করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের লেবেলিং এবং বিজ্ঞাপন তৈরির পথ ঐ সংস্থাটি বন্ধ করে দেয়। শরিফুল হাসান নামে একজন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "দেখেন, একটা মানুষ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে যোগ দিয়ে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করলেন। এরপর তাকে সরিয়ে রেলে দেয়া হলো।" "বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বেশ কয়েকদিন আগে তিনি একটা স্বপ্নের কথা বললেন। ১০ জন অফিসার নিয়ে তিন মাসে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুমতি চাইলেন। এই চাওয়াই কি তবে কাল হলো!" ঢাকার এক রেস্টুরেন্টে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান। আরও পড়তে পারেন: বিসিএস উত্তীর্ণদের নিয়ে এতো মাতামাতি কেন? সরকারি খাতে বেতন বেড়েছে, কিন্তু দুর্নীতি কমেছে কি? বিবিসি বাংলাকে অভিজিৎ ব্যানার্জি: দুর্নীতির মধ্যেও পরিবর্তন হয় গত ২৭শে জুলাই মাহবুব কবীর মিলন ফেসবুক লাইভে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য তিনি বিশেষ সেল গঠনের পরামর্শ দেন। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতাম তবে বলতাম, স্যার আমাকে ১০ জন অফিসার দিন। এদের আমি চুজ করব, এদের নিয়ে আমি একটা উইং করব। মানুষের চোখের পানি দূর করার জন্য সব মন্ত্রণালয়, সব দফতর, সব অধিদফতরের বিষয়গুলো অ্যাড্রেস করবো আমরা এই ১০ জন।'' এই কাজে ব্যর্থ হলে তিনি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেয়ার কথাও ঐ ভিডিওতে বলেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের ফেসবুকে কর্মক্ষেত্রে বিপ্লব আনার কথা বলা, কিংবা দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে খোলাখুলি-ভাবে চ্যালেঞ্জ জানানোয় চাকরি বিধির লঙ্ঘন হয় কিনা, বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে মাহবুব কবীর মিলন বলেন, দুর্নীতি দমনের প্রসঙ্গে আলোচনার সময় তিনি শুধু তার মতামত জানিয়েছেন। "আবেগপ্রবণ হয়েই হয়তো কিছু কথা বলে ফেলেছি। হয়তো কথাগুলো ওখানে, ওভাবে বলা ঠিক হয়নি।" তাকে ওএসডি করার বিষয়ে মি. কবীর কোন মন্তব্য করতে চাননি। শুধু এটুকুই বলেছেন যে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান জানান। ফেসবুক লাইভের যে ভিডিওটি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে:
মাহবুব কবীর মিলন: এই সরকারি কর্মকর্তার বদলি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কেন হৈচৈ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
গত কয়েকদিন ধরে ইলিশ ধরা বেড়েছে অথচ একটা সাধারণ ধারণ রয়েছে যে, বর্ষা হলো ইলিশের ভরা মৌসুম। এসময়ই ধরা পড়বে ইলিশের বড় অংশটি। লক্ষ্মীপরের মৎস্য কার্যালয় বলছে, ২০১৯ সালে একই সময়ে সপ্তাহে বড়জোর ৫০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন মাছ ধরা পড়েছিল। অথচ এবার ধরা পড়ছে আট গুন বেশি মাছ। কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৫-২০ বছরে এমন ঘটনা দেখা যায়নি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, "এটা খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। আমি গত ১৫-২০ বছরেও এমন ঘটনা দেখিনি। মনে হচ্ছে এটা ইলিশের নতুন মৌসুম হতে পারে, কিন্তু আমরা চাই বারো মাসই মৌসুম চলুক।" পৃথিবীর মোট ইলিশের প্রায় ৬০% উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পদ্মার ইলিশ। ইলিশ বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, পদ্মা-মেঘনা অববাহিকায় যে ইলিশের বাস স্বাদের জন্য তারা সবচেয়ে বিখ্যাত। কোথা থেকে আসছে এত ইলিশ? মৎস্য কর্মকর্তা মি. হোসেন বলেছেন, যে ইলিশ এখন পাওয়া যাচ্ছে এগুলো মূলতঃ সাগর থেকে নদীর মোহনায় আসা ইলিশ। আগে কেবল ডিম ছাড়ার সময় নদীর মোহনায় আসত ইলিশ। বিশেষজ্ঞরা বলেন নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি "কিন্তু এই সময়টাতে ইলিশ সাধারণত ডিম ছাড়ে না, কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা অনেকটাই আগের জীবনচক্রে ফেরত গেছে। এর মানে হচ্ছে, আগে ইলিশ কমবেশি বারো মাসই ডিম ছাড়ত, কিন্তু সেই জীবনচক্র অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল, যা ইদানীং আবার ফেরত আসছে।" মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী গত এক দশকে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় তিন গুন হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, নদী এবং নদীর মোহনা দুই জায়গাতেই ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও সাধারণত বাংলাদেশে শীত মৌসুমে ইলিশ প্রায় পাওয়াই যায় না। মি. হোসেন বলছেন, "কিন্তু গত এক সপ্তাহে এখানে জেলেরা ৪০০ মেট্রিক টনের মত ইলিশ ধরেছে। আর মাছের আকার দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, এটা এখনই শেষ হয়ে যাবে না, আরো অন্তত দেড় থেকে দুই মাস চলবে।" মি. হোসেন বলছিলেন, এই সময়ে এত ইলিশ ধরা পড়ার সাথে অমাবস্যা-পূর্ণিমার সময়ের একটা সম্পর্ক রয়েছে। "কারণ অমাবস্যা ও পূর্ণিমা শুরুর আগের দুইদিন এবং পরের তিনদিন এই সময়ে নদীতে ও নদীর মোহনায় পানির প্রবাহ বেশি থাকে, যে কারণে সে সময়ে সাগর থেকে মাছ বেশি আসে এবং মাছের চলাচলও এ সময় বেশি থাকে।" সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়াও গত কয়েকদিনের কিছুটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া বেশি মাছ ধরা পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এত ইলিশ ধরা পড়ছে কেন? সরকারের মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের ইলিশ বিষয়ক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান বলছেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ইলিশের পরিমাণ অনেক বেড়েছে, সেটা একটা কারণ। "ইলিশ মাছ রক্ষার জন্য আগে কেবল জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকতো, কিন্তু গত মৌসুমে জাটকা ইলিশের সাথে সাথে মা ইলিশ ধরার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। ফলে এখন ইলিশ তার জীবনচক্র পূর্ণ করতে পারছে। এর ফলে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।" ইলিশ রক্ষায় সরকার কয়েক দফা জাটকা ও মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ২০শে মে থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সাগরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। সেই সঙ্গে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস এবং অক্টোবরে ২২দিন নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। "এই সময়ে সাগর থেকে মাছ নদীতে এসে ডিম ছেড়ে আবার সাগরে ফিরে যেতে পারে। এই সময়ে একটি ইলিশের জীবনচক্র পূর্ণ হয়, আগে জীবনচক্র পূর্ণ হবার আগেই তারা ধরা পড়ে যেত।" তবে সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়াও গত কয়েকদিনের কিছুটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া বেশি মাছ ধরা পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রেতারা খুশী অসময়ে বহু পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ার কারণে বাজারে ইলিশের দাম কমেছে। আর এর ফলে ক্রেতারা খুশী। লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের একজন কলেজ শিক্ষক সাবিহা ইয়াসমিন বলছিলেন, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বাজারে আগের চেয়ে অর্ধেক দামে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। "পাঁচ থেকে ছয়শো গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ এক হালি এগারোশ টাকায় কিনেছি। মাসের শুরুতে আমাদের পরিবারের এক অনুষ্ঠানের জন্য এই ওজনের ইলিশ মাছ জোড়া (দুইটা) কিনেছি এক হাজার টাকায়।" তবে, লক্ষ্মীপুরের বাজারের আঁচ এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছায়নি। লালমাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষক ফাতেমা শারমীন বলেছেন, "ইলিশের দাম কমার খবর শুনে বাজারে গিয়ে দেখি এখনো ওখানকার মত কমে নাই, অল্প কমেছে। কিন্তু মাছ যদি এ হারে ধরা পড়তে থাকে, তাহলে আমরা আশাবাদী হতে পারবো।" বাঙালির ইলিশপ্রীতি অতুলনীয়। কেবল খাবার খাবার পাতে নয়, সাহিত্যে এমনকি কূটনীতিতেও ইলিশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে অনেকবারই। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বিধানসভায় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্তব্য করেছিলেন যে, ভারত তিস্তার পানি না দেয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ মাছ স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে বাঙ্গালীর ইলিশ প্রীতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলেছে। আরো খবর: বিজয় দিবসের দেড় মাস পর যেভাবে মুক্ত হয়েছিল মিরপুর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বিশ্বজুড়ে মহামারির আশঙ্কা, আসতে পারে জরুরি অবস্থা ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি এলো যেভাবে
ইলিশ ধরা পড়ছে বিস্ময়কর হারে, এটা কি নতুন মৌসুম?
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চাওয়া এবং দলে সংস্কারের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগ এবং আরেকজন নেতাকে বহিষ্কারের মধ্যে দিয়ে দলটির ভেতরকার টানাপড়েন প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে। জামায়াতের রাজনীতির একজন ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক শাহ আবদুল হান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন যে, তুরস্কে একে পার্টি বা তিউনিসিয়ার এন্নাহদার মতো একটি নতুন দল গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে জামায়াতের ভেতরে। কিন্তু সেটা আদৌ সম্ভব? বিবিসি'র পুলক গুপ্ত'র এমন প্রশ্নের জবাবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশ্লেষক রওনক জাহান বলছেন, তুরস্ক ও তিউনিসিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক পার্থক্য রয়েছে। "প্রথমত জামায়াতের দুটি ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। আর একাত্তরের গণহত্যাকে তারা সমর্থন করেছিলো।" "তুরস্কে বা তিউনিসিয়ায় ইসলামিক যে দল তাদের এমন নেগেটিভ ইমেজ ছিলোনা"। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশে মূলধারার গণতান্ত্রিক দল অনেক দিন ধরেই আছে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তা নেই। সেখানে ইসলামপন্থী দলগুলোই সামরিক শাসন বা এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জামায়াতের নতুন দলের নামে 'ইসলাম' বাদ পড়তে পারে সংস্কার নিয়ে মতভেদ কীভাবে নিরসন করবে জামায়াত? জামায়াতকে কতটা নাড়া দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক 'পদত্যাগ করা যেকোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার' ড. রওনক জাহান নতুন আকার নিয়ে কাজ করা সম্ভব জামায়াতের পক্ষে? তুরস্ক বা তিউনিসিয়া স্টাইলে জামায়াতের পক্ষে কি এখন নতুন আকার নিয়ে কাজ করা সম্ভব ? এমন প্রশ্নের জবাবে রওনক জাহান বলেন, ঠিক এ মডেল হয়তো কাজ করবেনা কিন্তু তাদের সামনে হয়তো কিছুটা সুযোগ আছে। "মূল ধারার যে গণতান্ত্রিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিএনপি হয়তো আমলা বা শাসকশ্রেণীর লোক নিয়ে হয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগ অনেক দিন ধরে সুবিধা বঞ্চিতদের পার্টি ছিলো।" "এখন আওয়ামী লীগের আমলা ব্যবসায়ীরা ঢুকে গেছে। সেখানে একটা শুণ্যতা আছে"। ১০ বছর ধরে সারাদেশে জামায়াতের সব কার্যালয বন্ধ হয়ে রয়েছে। 'ইসলাম' শব্দ না থাকলে কী প্রভাব পড়বে? তবে জামায়াত তো এতদিন বলে এসেছে যে কোরআন তাদের সংবিধান আর এখন বলছে নামের মধ্যে ইসলামি শব্দটাও থাকবেনা। তাহলে এ ধারায় যারা বিশ্বাস করতো তারা কি তাদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী হবে? জবাবে রওনক জাহান বলেন, তারা ধর্মকে একেবারে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয়না। কিন্তু তারা যে দিকটা সামনে আনবে সেটি হতে পারে সামাজিক কল্যাণ বা ন্যায় বিচার এসব বলে সুবিধাবঞ্চিত লোকদের টানার চেষ্টা করবে। "তারা ধর্মকে একেবারে ছেড়ে যাবেনা। যেমনটি তুরস্কের জাস্টিস পার্টি করেছে"। তিনি বলেন, "জামায়াতের তরুণরাও হয়তো বাইরের দেশগুলো দেখছে। তারা হয়তো ভাবছে রিব্র্যান্ডিং করে তারপরে কাজ করতে পারে।" "তবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশের মতো সহজ হবেনা। কারণ একাত্তরে তাদের ভূমিকা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। আর সেটাই হবে তাদের জন্য বড় সমস্যা"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: জামায়াত বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে রাজ্জাকের পদত্যাগ বিশ্বের সেরা 'টয়লেট পেপার' পাকিস্তানের পতাকা? সৌদি যুবরাজ কী কী দিলেন পাকিস্তানকে?
জামায়াতে ইসলামীর জন্য নতুন রূপে কাজ করা কতটা সহজ হবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
কয়েক হাজার বন্দীর পাশাপাশি ওয়া লো এবং চ সো উ'কেও রাজক্ষমার আওতায় এনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঐ দুই সাংবাদিককে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ক্ষমা করার পর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করার দায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং তাদের সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে একটি সেনা অভিযানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ১০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছিল - এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাদের কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং এ ঘটনাকে মিয়ানমারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য 'ক্ষতিকর' বলে অভিহিত করা হয়। মিয়ানমারের নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার কয়েদিকে ক্ষমা করা হয়। তার অংশ হিসেবে এবার এই দুই সাংবাদিকও মুক্তি পেয়েছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে ওয়া লো বিবিসি'কে বলেন, তিনি সবসময় সাংবাদিক হয়েই থাকতে চান। পরিবারের সাথে ওয়া লো এবং চ সো উ মিয়ানমারের শহর ইয়াঙ্গুনের বাইরে এক কারাগারে ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি ছিলেন ঐ দুই সাংবাদিক। তারা দু'জনেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক বলেন, গত মাসে সম্মানজনক পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া ঐ দুই সাংবাদিককে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার 'প্রতীক' হিসেবে দেখা হচ্ছে। "আমরা খুবই আনন্দিত যে মিয়ানমার আমাদের সাহসী সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়েছে," বলেন রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন অ্যাডলার। "তারা এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছেন।" আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা হত্যা: সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার রোহিঙ্গা 'গণহত্যার খবরের কারণে' রয়টার্সের সাংবাদিক আটক ইন ডিন গ্রামের দশজন রোহিঙ্গা মুসলিম, যাদের হত্যার ঘটনা তদন্ত করছিলেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। তারা কী বিষয়ে তদন্ত করছিলেন? মিয়ানমারের নাগরিক ঐ দু্ই‌ সাংবাদিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হয়ে কাজ করার সময় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর রাখাইনের ইন ডিন গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ১০ জন রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যার বিষয়ে খবর সংগ্রহ করছিলেন। তবে ঐ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তারা গ্রেপ্তার হন। কিন্তু পরে আরো কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে তৈরি করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। ঐ প্রতিবেদনে বিভিন্ন পক্ষের জবানি অন্তর্ভূক্ত করা হয় - যার মধ্যে এমন বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের বক্তব্যও ছিল যারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা করা ও তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের অভ্যন্তরীণ এক তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনা রাখাইনে সহিংসতা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে ইন ডিন গ্রামের হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ঐ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাতজন সেনা সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরো পড়তে পারেন: 'প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব' কেন শীর্ষ তালিকায় নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন
রোহিঙ্গা 'গণহত্যা' অনুসন্ধানকারী রয়টার্স সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ঢাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের সম্মেলন। কওমি মাদ্রাসা-ভিত্তিক কয়েকটি দলের এই জোট বৃহস্পতিবার ঢাকায় তাদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ইসলামী ঐক্য জোটের নেতারা বলেছেন, তারা ইসলামপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বতন্ত্র এবং শক্তিশালী একটা অবস্থান তুলে ধরতে চান। সে কারণেই তারা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বিভিন্ন বৈঠকে ইসলামী ঐক্যজোট অংশ নিচ্ছিল না কয়েক মাস ধরে। ফলে ইসলামী ঐক্য জোট বিএনপির সাথে থাকছে না, এ ধরণের একটা গুঞ্জন ছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন পটভূমিতে ঢাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কি সিদ্ধান্ত আসে, সেদিকেই নজর ছিল বিএনপি এবং এর নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যান্য শরিকদের। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নিজামী সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা তাদের প্রতিনিধিদের সামনে ঘোষণা করেন, তারা কওমি মাদ্রাসা-ভিত্তিক ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে চান। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন মামলা এবং সরকারের চাপে ইসলামী ঐক্যজোট এই অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অভিমান থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এমন খবরও সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। তবে আব্দুল লতি নিজামই এসব বক্তব্য মানতে রাজি নন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা বাসে করে মিছিল নিয়ে এসে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনে কেন্দ্রের অনেক নেতার পাশাপাশি মাঠ-পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্যেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরির তাগিদ ছিল। শেষপর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে মাঠ-পর্যায়ের অনেকেই তাদের জন্য ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে সম্মেলনে অংশ নেয়া অনেকে বিএনপির জোটে থাকার পক্ষে ছিলেন বলে মনে হয়েছে। কিন্তু তারা মাইকের সামনে কথা বলতে চাননি। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপি চারদলীয় জোট গঠন করেছিল। সেই প্রতিষ্ঠা থেকে ইসলামী ঐক্যজোট তাতে ছিল। ফজলুল হক আমিনীর মৃত্যুর পর ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃত্বে এসেছেন আব্দুল লতিফ নিজামী এবং মি. আমিনীর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনী। এছাড়া এবার সম্মেলনে নতুন কমিটিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকেও রাখা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের প্রধান নেতা আহমেদ শফির লিখিত শুভেচ্ছা বক্তব্যও সম্মেলনে পড়ে শোনানো হয়েছে। আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, তারা স্বতন্ত্রভাবে বড় একটি ফোরাম তৈরির টার্গেট নিয়েছেন। তবে ইসলামী ঐক্যজোটে এখন ছোট ছোট যে তিনটি দল রয়েছে। তার মধ্যে নেজামে ইসলামী পার্টির নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নেননি। এই দলটি ইসলামী ঐক্যজোট নাম নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটেই থাকতে পারে বলে এর নেতারা বলেছেন।
বৃহৎ ইসলামী জোটের স্বপ্ন দেখছে ঐক্যজোট
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু। এতো দ্রুত সময়ে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ পুরো বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে প্রকল্প শেষ করতে বছরের পর বছর সময় লাগে। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে কেন এতো সময় লাগে? অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতা যে কোন প্রকল্প প্রস্তাব দিয়ে সেটির অনুমোদন নিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এর সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জড়িত থাকে। সবার মতামত নিয়ে প্রকল্প চূড়ান্ত করতে হয়। এ কাজ করতে কয়েক ডজন মিটিং করতে হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করতেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় শেষ হয়ে যায়। অনেক সময় ঠিক মতো সমীক্ষা না করেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সমন্বয়ের অভাব মাত্র দশ দিনের মধ্যে চীনের উহানে বিশাল এক হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্প অনুমোদনের পর যখন কাজ শুরু হয় তখন দেখা বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করতে হয়। রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে কিংবা সুয়ারেজ লাইন পরিবর্তন করতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। এক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগে। একের পর এক মিটিং করতে হয়। ঢাকা ট্রান্সপোর্ট সমন্বয় বোর্ডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। পর্যাপ্ত অর্থের অভাব বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবছর বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু অনেক প্রকল্পে নিরবচ্ছিন্ন অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়না। দেখা যায়, দুই-তিন বছর মিলিয়ে পুরো অর্থ ছাড় করা হয়। ফলে কাজের অগ্রগতি আটকে থাকে। ভূমি জটিলতা জমি অধিগ্রহণ একটি বড় সমস্যা। ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন বাস্তবায়ন করতে এ সমস্যায় পড়ে হয়েছিল। ভূমি জটিলতার কারণে মহাসড়কের প্রকৃতিও পরিবর্তন করতে হয়েছে। এনিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘসময় যাবত চিঠি চালাচালি করে। সরকারের আওতাধীন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগে জটিলতা যেসব প্রকল্পে বিদেশী অর্থায়ন আছে সেখানে পরামর্শ দেবার জন্য বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিয়োগ করা হয়। অনেক সময় পরামর্শক নিয়োগ করতে করতে মাসের পর মাস সময় লাগে। সেজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নও পিছিয়ে যায়। দরপত্র প্রক্রিয়া যে কোন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দরপত্র প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যে প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে কম খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে তাদের কাজ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়া বেশ সময় লাগে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীনরা সবসময় তাদের পছন্দের ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে তৎপর থাকে। ফলে দরপত্রের শর্ত শিথিল করা কিংবা নানা কারসাজির অভিযোগ উঠে। এতে সময় নষ্ট হয় অনেক। নকশা পরিবর্তন বড় সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল কিংবা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে নকাশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নকশা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগে। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তি। উদাহরণস্বরূপ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। ঢাকা শহরের উপর দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে সেখানে পাঁচবার নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেট্রোরেল নির্মাণের ক্ষেত্রে রুট নির্ধারণের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থার আপত্তির কারণে মেট্রোরেলের রুট চূড়ান্ত করতে অনেক সময় লেগেছে। প্রকল্প কর্মকর্তার বদলী বাংলাদেশে যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যায়। ফলে নতুন আরেকজন এসে কাজ বুঝে নিতে সময় লাগে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীরগতির হয়ে যায়। ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "একজন বদলী হয়ে যাবার ফলে আরেকজন আসলে কাজ বুঝে নিতে সময় লাগে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেরি হয়।" দুর্নীতি সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না হবার পেছনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইচ্ছে করেই ধীর গতিতে কাজ করেন যাতে সময় বেশি লাগে। সময় বেশি প্রয়োজন হলে ব্যয়ও বাড়ে। ফলে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দিতে হয়। দক্ষতার অভাব যে কোন প্রকল্প ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা জরুরী। অভিযোগ রয়েছে, অনেকে সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের কারণে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চীন দশ দিনে হাসপাতাল বানাচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে যে কোন প্রকল্প শেষ করতে কেন বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
খেলা দেখতে যাওয়ার পথে তোলা ছবি খেলা যেখানেই হোক বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ম্যাচেই প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি সমর্থককে স্টেডিয়ামে হৈ হল্লা করতে দেখা যায়। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে দিয়ে তারা নিজ দলের ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরকমই একজন লন্ডনের বাসিন্দা ও আইনজীবী নাশিত রহমান। ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি বাস ভাড়া করে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি তিরিশ জনেরও বেশি ক্রিকেট প্রেমীকে লন্ডন থেকে মাঠে নিয়ে যাচ্ছেন। আজও তিনি বাংলাদেশি দর্শকদের একটি দল নিয়ে নিজ উদ্যোগে যাচ্ছেন বার্মিংহামে বাংলাদেশ ভারত খেলা উপভোগের জন্য। বিবিসি বাংলাকে মিস্টার রহমান বলছেন, "দলকে সমর্থন যোগানো কিংবা প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের পাল্টা নানা কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা স্টেডিয়ামকে প্রাণবন্ত করে তোলেন"। এমন বাসে করে স্টেডিয়ামে যান দর্শকরা এই উদ্যোগ কেন নিলেন নাশিত রহমান এ ব্যাপারে নাশিত রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে যে ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছিল সেই ম্যাচেও তিনি বাংলাদেশি দর্শকদের নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। "তবে আমরা যারা বিদেশে থাকি আমাদের দুটি পরিচয়। প্রথমত আমরা বাংলাদেশি দ্বিতীয়ত আমরা হয়তো ব্রিটিশ, আমেরিকান কিংবা অন্য দেশের নাগরিক। যে কারণে আমরা অনেক সময় আত্মপরিচয় দ্বন্দ্বে ভুগি। তার বাংলাদেশের মানুষদের কাছে অনেক সময় আমরা যারা প্রবাসী আছি, তাদের দেশপ্রেম অনেক সময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। এ দুটি বিষয়ের উত্তর দেয়া থেকেই বিষয়টি মাথায় আসে"। তিনি বলেন মূলত বিলেতের বুকে ছোট একখণ্ড বাংলাদেশ তৈরি করার চিন্তা থেকেই তাদের এ প্রয়াস। সমর্থকদের কয়েকজন ভাবনাটা মাথায় এলো কিভাবে? নাশিত রহমান বলেন তার ছোটো বেলা কেটেছে ঢাকার ফুলার রোডে। শিক্ষাজীবনে ঢাকা কলেজ কিংবা ল্যাবরেটরি স্কুলে যখন পড়েছেন তখনই ক্রিকেট বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। "ফুটবলও আমাদের সময় জনপ্রিয় ছিলো। আবার ক্রিকেটও। কিন্তু পরে ক্রিকেট বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দুটি খেলাই খেলতাম ও ভালবাসতাম। এখন দেশের সুনাম ক্রিকেট যেভাবে আনতে পারে সেটা ফুটবলের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই সেটাকেই কাজে লাগানোর চিন্তা করেছি।"। তিনি বলেন, "বন্যা কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতার মতো নানা নেতিবাচক খবরের মধ্যে 'ক্রিকেট' বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক খবর দেয় এবং এটা প্রবাসীদের আন্দোলিত করে।" মিস্টার রহমান জানান কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, ২০১০ সালে ইংল্যান্ডকে হারানোসহ অনেক খেলাই তারা এভাবে দেখতে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। তিনি বলেন আইনজীবী হিসেবে পেশাগত জীবনের ব্যস্ততার মধ্যেও খেলা হলে, তিনি অনেক আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করেন। বাংলাদেশী সমর্থক ব্যয় মেটান কিভাবে নাশিত রহমান বলেন তাদের বাল্যবন্ধুর একটি বাস কোম্পানি আছে লন্ডনে। তিনি স্কুলের বাচ্চাদের সেবা দিয়ে থাকেন। "আইনি নানা বিষয় আছে তাতে। সে কারণে তার কোম্পানির সহায়তা চাইলে তিনি খুব কম খরচে বাসটি দিতে রাজী হন। আধুনিক বাস। আমরা মজা করতে করতে স্টেডিয়ামে যাই"। তাছাড়া যারা বাসে যান তারাও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করে বলে জানান তিনি। "অনেক দর্শক আছে যারা সব খেলা দেখতে যান। অনেকে প্লাটিনাম টিকেট কিনেন। সবাই দল বেধে যেতে আসতে মজা পাচ্ছে। আবার মাঠে আলাদা আলাদা জায়গায় বসে অনেকে টিকেটের কারণে। কিন্তু বাসে এক সাথে মজা করতে করতে যাচ্ছে নিজেরা মিলে। বিষয়টি বেশ উপভোগ্য হয়"। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচের আলোচনার চারটি দিক যেভাবে আফগান বাধা টপকালো বাংলাদেশ বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের সেমিফাইনালের হিসাব যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায়? তিনি বলেন যারা বাসে করে খেলা দেখতে যান তাদের কাছ থেকে কিছু অর্থ নেয়া হয়, কারণ এটি না হলে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা থাকেনা। "প্রচুর দর্শক পাওয়া যায়। এমন অনেকেই আছেন যারা দেশের প্রতিটি খেলা দেখেন। সকাল ছয়টায় আমরা রওনা হয়ে যাই খেলার দিন। বাংলাদেশিরা খেলা দেখতে অনেক অর্থ ব্যয় করেন। আর এটা ট্রেনে যাওয়ার চাইতেও অনেক সাশ্রয়ী। সে কারণে সাড়া মেলে ভালো"। নাশিত রহমান বলেন এখন যারা এই বাসে যাচ্ছেন তারা সবাই খুব সিরিয়াস সমর্থক। "দলের ভালো মন্দ সব কিছুতেই আমরা দলকে সাহস যোগানো বা পাশে থাকার জন্য যাই। আমাদের খেলোয়াড়কে অন্য দেশের সমর্থকরা বিদ্রূপ করে কিছু বললে আমরা তারা পাল্টা জবাব দেই। সবমিলিয়ে জমজমাট একটা পরিবেশ তৈরি হয় স্টেডিয়ামে। এটি দারুণ উপভোগ্য হয়"।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯: নিজ উদ্যোগে বাসভর্তি দর্শক নিয়ে স্টেডিয়ামে যান যে বাংলাদেশি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
পুলিশের ওপর এ নিয়ে দ্বিতীয় হামলা হল। (ফাইল ছবি) ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, "প্রশ্ন হচ্ছে, যে বিস্ফোরণটি হয়েছে সেটি কোন ধরনের বিস্ফোরণ। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে আমরা যা জানতে পেরেছি যে এটা একটি ককটেল কিন্তু ইমপ্রোভাইজড এবং সাধারণ ককটেলের চেয়ে এটি শক্তিশালী।" কথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে, এমন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স জানাচ্ছে, রোবাবার রাতের সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। আরো পড়তে পারেন: ডাকসু ভিপি নূরুল হকের সাথে ছাত্রলীগের সমস্যা কোথায়? যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো কী করছে? ক্রিকেট বিশ্বকাপের যে তিনটি বিষয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি এর আগে গত ২৯শে এপ্রিল ঢাকার গুলিস্তানে একটি পুলিশ বক্সে একই ধরনের হামলা হয়েছিলো। সেই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী। মালিবাগে যে গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সেটি পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি'র একটি পিক-আপ ভ্যান। যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই রয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ও এসবির প্রধান কার্যালয়। পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলছেন, "পুলিশই নির্দিষ্ট করে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কিনা সেটি এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ।" তবে তার ভাষায়, একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা এটি। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই রয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বিশেষ শাখার কার্যালয় (এসবি) প্রধান কার্যালয় তিনি বলছেন, "আমার কাছে মনে হচ্ছে জনমনে ভীতি প্রদর্শন করে, পুলিশের গাড়ি অথবা পুলিশ বক্সে হামলা করে পুলিশের নৈতিকতা বা মোরালকে ডাউন করে দেয়ার চেষ্টা এটি।" জাতীয় ও আন্তর্জাতিক-দুই প্রেক্ষাপটেই বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড দমনে বেশ কঠোর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মি. আসাদুজ্জামান মিয়া বলছেন, জঙ্গিবাদের একটি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক প্রভাব আছে এবং বাংলাদেশ এই বৈশ্বিক প্রভাবের বাইরে নয়। ২০১৬ সাল থেকে সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদকে দমন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন, "একটা অপচেষ্টা আছে। একটা অপ-তৎপরতা আমরা লক্ষ করছি।" তিনি সাম্প্রতিক সময় নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা এবং শ্রীলংকার গির্জায় হামলা এই দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন যে, মালিবাগ ও গুলিস্তানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে তিনি এও বলেছেন দেশের ভেতরের কোন শক্তি দেশের বাইরে বসে কিছু করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশে পুলিশ সম্পর্ক সাধারণ মানুষের একটা নেতিবাচক ধারনা আছে বলে মনে করেন জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞ তাসনিম খলিল কিন্তু পুলিশ কেন লক্ষ্যবস্তু? সুইডেন ভিত্তিক জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞ তাসনিম খলিল বলছেন, তার মনে হয়েছে নতুন একটি গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশে আগে যাদের কর্মকাণ্ড ছিল না এমন কোন গোষ্ঠী পুলিশের উপরে হামলার জন্য দায়ী বলে তার মনে হচ্ছে। তিনি বলছেন হামলার দায় স্বীকার করার ধরণে কিছুটা পার্থক্য তিনি দেখতে পাচ্ছেন। তার বিশ্লেষণ হল, "তারা অফিসিয়ালি আইসিসের কাছ থেকে কোন স্টেটমেন্ট আসার আগেই বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেলে যেভাবে তারা এটি প্রচার করেছে এবং বিভিন্ন ছবি তারা শেয়ার করেছে - আইসিসের দায় স্বীকার করার যে চেইনটা আছে, আমার কাছে মনে হয় এই ঘটনার ক্ষেত্রে সেটি মেইনটেইন হয়নি। কিছু নতুন এলিমেন্ট এই ঘটনায় রয়েছে।" বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রাম জঙ্গি গোষ্ঠীরা ব্যবহার করে থাকেন বলে নানা সময়ে শোনা গেছে। তিনি বলছেন, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকে যে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে সেটি মার্চ থেকেই খানিকটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিলো আইসিসের একটি প্রকাশনার সূত্রে। এর আগেও কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলার লক্ষবস্তু হয়েছে। ২০১৭ সালে মার্চেই দুটি হামলা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বাইরে পুলিশের একটি চেক পোস্টের কাছে বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলো। যিনি নিহত হয়েছেন তিনি নিজেই সেই বোমা বহন করছিলেন বলে এটিকে সেসময় আত্মঘাতী হামলাও বলা হয়েছে। সেই সময় আইএস দাবি করেছে যে, তারা এই 'হামলাটি' চালিয়েছে। আইএস পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট 'আমাক' থেকে এই দায় স্বীকার করা হয়েছিলো। একই মাসে র‍্যাবের একটি অস্থায়ী সদরদপ্তরের নির্মাণকাজ চলাকালীন এক যুবক তার সাথে বহন করা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তাসনিম খলিল বলছেন, "বাংলাদেশে পুলিশ সম্পর্ক সাধারণ মানুষের একটা নেতিবাচক ধারনা আছে। পুলিশ খুব সহজ টার্গেট। তারা রাস্তাঘাটে অ্যাক্টিভ থাকেন। তাদের উপর হামলা করাটা সহজ।" তিনি বলছেন, "জিহাদিরা পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা যেভাবে দেখে, তারা তাদের একটা সেক্যুলার রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে। তাদের জন্যে লোভনীয় টার্গেট পুলিশ। তারা আদর্শিক-ভাবে এটাকে একটা বড় অর্জন বলে মনে করে।" আইএস'এর দায় স্বীকার সম্পর্কে পুলিশ কী বলছে? এই হামলায় আইএসএর সম্পৃক্ততার বিষয় সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। তারা বলছে, হামলার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইএস'এর দায় স্বীকারের বিষয়টিও পুলিশের দৃষ্টিতে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার সাথে আইএস'এর কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
পুলিশ কেন 'আইএস' হামলার লক্ষ্যবস্তু?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতিদিন টয়লেট ফ্লাশ করতে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয় সেটা আফ্রিকাতে একদিনে যতো পানি ব্যবহার করা হয় তারচেয়েও ছয় গুণ বেশি। পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই টয়লেটের গায়ে এমন একটি জিনিসের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে যাতে এতে লেগে থাকা মল-মূত্র পরিষ্কার করতে খুব বেশি পানি খরচ করতে হবে না। অর্থাৎ টয়লেটটি এতোই পিচ্ছিল হবে যে এর গায়ে বিষ্ঠা লেগে থাকবে না। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা আরো দাবি করছেন যে, এই আস্তরণের ফলে এর গায়ে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারবে না এবং তাতে দুর্গন্ধও কম তৈরি হবে। বলা হচ্ছে, এই পদার্থটি টেফলনের চেয়েও বেশি পিচ্ছিল। তবে মূত্রের কারণে এর পিচ্ছিল গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং প্রায় ৫০ বার ফ্লাশ করার পর নতুন করে প্রলেপ বসাতে হবে। গবেষকরা আশা করছেন, এই আবিষ্কারের ফলে পানির খরচ কমবে। ধারণা করা হয়, প্রত্যেক দিন সারা বিশ্বে টয়লেট ফ্লাশ করতে গিয়ে খরচ হয় ১৪ হাজার কোটিরও বেশি লিটার পানি। নেচার সাসটেইনেবিলিটি নামের একটি সাময়িকীতে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। জাপানে চালু হল বিশ্বের প্রথম বিষ্ঠা জাদুঘর আরো পড়তে পারেন: নারীদের ইউরিন ইনফেকশন হয় যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর নগরীগুলো কেন ভারতে অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি 'মল-প্রতিস্থাপন' সেখানে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে প্রতিদিন টয়লেট ফ্লাশ করতে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয় সেটা আফ্রিকাতে একদিনে যতো পানি ব্যবহার করা হয় তার চেয়েও ছয় গুণ বেশি। "আমাদের টিম খুবই শক্তিশালী এই তরল প্রলেপটি তৈরি করেছে যা ব্যাকটেরিয়াও প্রতিরোধ করতে পারে। এর ফলে টয়লেট হবে অনেক পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত," বলেন টাক-সিং ওং, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। "টয়লেটের গায়ে মল লেগে থাকা শুধু ব্যবহারকারীদের জন্যেই বিব্রতকর নয়, স্বাস্থ্যের জন্যেও এটি বিপদজনক।" টয়লেট বৃত্তান্ত: কমোডে কীভাবে বসবেন?
মল লেগে থাকবে না এমন টয়লেটের আবিষ্কার
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পাকিস্তানে শাহরুখ খানের মতো ভারতীয় সিনেমা তারকারা খুবই জনপ্রিয় বিবিসির সংবাদদাতা ইলিয়াস খান আর শুমায়লা জাফরি রিপোর্ট করছেন, এটা হয়তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খুবই সহজ, কিন্তু একটা সন্দেহও দেখা দিয়েছে যে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ভুল জায়গায় আঘাত হেনেছে কিনা। কারণটা হলো, ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যতই শত্রুতা-বৈরিতা থাকুক, পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে বলিউড-প্রীতি কিন্তু চিরকালই অটুট রয়ে গেছে। কিন্তু ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার জবাবে ভারত যখন পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালালো, এবং পাকিস্তান তার জবাবে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করলো - তখন পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ একটা বাড়তি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সেদেশে বলিউড ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দিল, যেমনটা আগেও অনেকবার হয়েছে। তবে মনে রাখা দরকার - প্রথম নিষেধাজ্ঞা কিন্তু আরোপিত হয় ভারতেই। কাশ্মীর আক্রমণের পর সর্বভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্স সমিতি পাকিস্তানি অভিনেতা-কলাকুশলীদের বলিউডে কাজ করার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার জবাবেই পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা। এর আগে ২০১৬ সালেও 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ঘটনাবলীর সময় পাকিস্তানের ফাওয়াদ খানের বলিউড ছবিতে অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতীয় সিনেমা দেখিয়ে পাকিস্তানের সিনেমা হলগুলো বিপুল পরিমাণ মুনাফা করে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি বলেছে, তারা বলিউড ছবি মুক্তি দেয়া নিষিদ্ধ করছে। মার্চ মাসে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আরেক কাঠি এগিয়ে এক রুলিং দিলেন যে পাকিস্তানের কোন টিভি চ্যানেলে কোন ভারতীয় 'কনটেন্ট' সম্প্রচার করা যাবে না। এর আওতায় পড়েছে ভারতীয় ফিল্ম, বিজ্ঞাপন এবং টিভি সিরিয়াল। বলা বাহুল্য, এই পদক্ষেপ অনেকের সমর্থনও পেয়েছে - যারা মনে করেন, যে দেশ পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে, কী করে তাদের সিনেমা-নাটক পাকিস্তানে মুক্তি পেতে পারে? কিন্তু এর একটা বিপরীত পক্ষও আছে। পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে একটা বড় অংশ আছে - যারা মনে করে ভারতীয় সিনেমা-নাটকে তারা যে বিনোদন পান, তা এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করার যে দেশাত্মবোধ - তার চেয়ে কম নয়। যেমন 'ফিল্মের পোকা' আলি শিওয়ারি। ভারতের সিনেমা তাকে এতই অনুপ্রাণিত করেছে যে তিনি এখন চলচ্চিত্র অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। "আমি বড়ই হয়েছি শাহরুখ খান, সালমান খান, আর আমির খানের ছবি দেখে" - বলেন তিনি। তার কথা, এদের মত তারকা পেতে পাকিস্তানি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এখনো বেশ কিছু দিন লাগবে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা নিষিদ্ধ করলে দেশটির অর্থনীতিতেও একটা প্রতিক্রিয়া হবে। "পাকিস্তানের বক্স অফিসকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খুবই গুরুত্বপূর্ণ" - বলছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক রাফাই মাহমুদ। তিনি একটা হিসেব দিচ্ছেন যে পাকিস্তানে সিনেমা হল আছে প্রায় ১২০টি এবং প্রতিটি ছবি মোটামুটি দু'সপ্তাহ ধরে প্রদর্শিত হয়। সুতরাং একটা হলকে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে বছরে অন্তত ২৬টা ছবি দেখাতে হয়। কিন্তু পাকিস্তানের নিজস্ব যে চলচ্চিত্র শিল্প তাতে বছরে মাত্র ১২ থেকে ১৫টি ছবি তৈরি হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারত কি মুসলিমদেরও দেশ নয়? আলোচনায় 'মুল্ক' ভারত-পাকিস্তান নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে কমেডিয়ান 'ছাদে উঠে চেঁচিয়ে বলতে পারব না দেশকে ভালবাসি' রাফাই মাহমুদ বলছেন, পাকিস্তানে তৈরি ছবি বড় সংখ্যায় দর্শক টানতে পারে না। আরেকজন সাংবাদিক হাসান জায়দী বলছেন, বাস্তবতা হচ্ছে এই যে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পের ৭০ ভাগ রাজস্বই আসে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে। মি. জায়দী বলছেন, "ভারতীয় ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ এখানকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডকে ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না।" এর আগেও পাকিস্তানে বলিউডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সবচেয়ে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৯৬৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ৪০ বছর স্থায়ী। কিন্তু তা পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে ধস নামায়, শত শত সিনেমা হল পরিণত হয় শপিং মল বা বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে। এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর পাকিস্তানে চলচ্চিত্র শিল্প আবার উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে। "দর্শকরা এখন সিনেমা হলে ফিরে আসছে, পাকিস্তানি চলচ্চিত্র নির্মাতারা ছবি প্রযোজনায় আগ্রহী হচ্ছেন। তবে তাদের ছবিগুলো বাজেট বা তারকার খ্যাতির দিক থেকে বলিউডের সমান নয়। পাকিস্তানের ফিল্মস্টার ফাওয়াদ খান ভারতেও জনপ্রিয় তবে এটাও মনে রাখতে হবে, ভারতও সিনেমার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ওপর এরকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ২০১৬ সালেও 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ঘটনাবলীর সময় পাকিস্তানের ফাওয়াদ খানের বলিউড ছবিতে অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৭ সালে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান ও ভারতের শাহরুখ খানের একটি ছবি উগ্র ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর আপত্তির কারণে মুক্তি বিলম্তি হয়। পাকিস্তানে সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে ছবিটি প্রদর্শিতই হয় নি। তাহলে সবশেষ এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন চলবে? পাকিস্তানি চলচ্চিত্র প্রযোজক নাদিম মান্ডভিওয়ালা বলছেন, তিনি আশা করেন এ নিষেধাজ্ঞা হবে সাময়িক এবং শুভবুদ্ধিরই জয় হবে। তা ছাড়া আরো একটা কথা আছে। এ যুগে সিনেমা হলে না গিয়েও নেটফ্লিক্সে, ইউটিউবে বা অন্য প্ল্যাটফর্মে বলিউড মুভি দেখা যায়। ফলে পাকিস্তানের এ নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই প্রতীকী, এ দিয়ে আসলে কিছুই বন্ধ করা যাচ্ছে না। আরো পড়ুন: 'সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ একটি পদও পাবে না' - নূর ডাকসু নির্বাচন: যে সমীকরণে দাঁড়ালো এমন ফলাফল ডাকসুতে ছাত্রলীগের শোভন পরাজিত, নুরুল ভিপি
পাকিস্তানে এখন নিষিদ্ধ ভারতীয় সিনেমা: আসলে ক্ষতি হচ্ছে কার?
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
ফাইল্লাপাড়া গ্রামের তরুণীরা সুস্থ সন্তান জন্ম দেয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন ''মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে অনেক ভালো। ছেলেরা কথা শোনে না, তারা বেপরোয়া, মেয়েরা অনেক বেশি শান্ত হয়।'' এই গ্রামের একজন বাসিন্দা ৩০ বছরের আলমুন্নাহার, যার তিনটি ছেলে রয়েছে, তবে তার একটি মেয়ের জন্য আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। যখন তিনি ভাবতে শুরু করেছিলেন যে তার হয়তো এবার মেয়ে সন্তান হতে যাচ্ছে, তখন তার গর্ভপাত হয়ে যায়। তিনি হচ্ছেন এই গ্রামের আরো অনেক নারীদের একজন, যারা গর্ভপাতের কারণে তাদের পেটের সন্তান হারিয়েছেন। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে নগরদরিদ্ররা কতটা সুযোগ পাচ্ছেন? বাংলাদেশে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা নেই কেন? আলমুন্নাহারের গ্রামের সব খাবার দ্রব্যই দূরের বাজার থেকে কিনে আনতে হয় যদিও গর্ভপাত একেবারে অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা অন্যসব এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় এই এলাকার মানুষের মধ্যে এর সংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখতে পেয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাশরাফির রাজনীতিতে আসা নিয়ে আলোচনার ঝড় ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা পুরোপুরি স্বাধীনতা চায় না সুইসরা আলমুন্নাহারের গ্রাম ফাইল্লাপাড়া যাওয়াটা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। শুকনো মৌসুমে চিংড়ি ঘেরের পাশ দিয়ে সরু পথ ধরে যেতে হয়। আর বর্ষার সময়ে যেতে হয় সাগরের মাঝ দিয়ে। পুরো গ্রামটিকে দেখে মনে হবে, কাদার ওপর যেন মাটির একটি ঢিবি, যেখানে কিছু ঘরবাড়ি আর মুরগির খাঁচা আছে। আলমুন্নাহার বলছেন, ''এখানে কিছুই জন্মে না''। নব্বুইয়ের দশক পর্যন্ত এই এলাকায় ধান চাষ করা হতো। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হতো না, কিন্তু লোকজনের দিন চলে যেতো। কিন্তু পানি আর লবনাক্ততা বাড়ার কারণে এই গ্রামবাসীদের চিংড়ির ঘের অথবা লবণ চাষের দিকে ঠেলে দেয়। এখন সেখানে খুব সামান্যই ধানের ক্ষেত দেখা যাবে। ''একে আপনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল বলতে পারেন।'' বলছেন ড. মানজুর হানিফি, আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) একজন বিজ্ঞানী। ''এসব জমির ওপর এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে, কিন্তু শরীরের ওপর যে প্রভাব পড়ছে, তা দেখতে পাওয়া যায় না।'' লোনা জল এবং উৎকোচ চকোরিয়ার কিছু এলাকার বাড়িঘর লোনা কাদার ওপর তৈরি হয়েছে, যেখানে বন্যা হলে ঘরে পানি ঢুকে যায় গত ৩০ বছর ধরে কক্সবাজারের চকোরিয়ায় স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি নজরদারি করে আসছে আইসিডিডিআর, যেখানে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছিল যেন তারা স্বাস্থ্য বিষয়ক ছোটখাটো পরিবর্তনও সনাক্ত করেন। গত কয়েক বছরে অনেক পরিবার বন কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে সমতল এলাকা ছেড়ে বনের পাহাড়ি এলাকায় বসতি তৈরি করেছে। এরকম একজন কাজল রেখা, যিনি তার স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে দিন বছর আগে পাহাড়ি এলাকায় চলে এসেছেন। তিনি বলছেন, ''এই বাড়ি করার জন্য আমরা ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি। কারণ ওখানে পানির কারণে আমার সন্তানদের সবসময়েই জ্বর লেগে থাকতো, বিশেষ করে বন্যার পরে যখন ঘরবাড়ি ভেজা থাকতো। এখানে জীবন অনেক সহজ।'' অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসী হওয়া এই পরিবারগুলোয় অন্যদের তুলনায় ভালো আছে। তারা ভালো চাষাবাদ করছে, স্কুল এবং চাকরি ক্ষেত্রের কাছাকাছি থাকতে পারছে। তাদের স্বাস্থ্যও তুলনামূলকভাবে ভালো। সাগর বা নদী তীরবর্তী এলাকার নারীদের মধ্যে গর্ভপাতের হার বেশি ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১২, ৮৬৭ জন গর্ভবতী নারীকে শুরু থেকে সন্তান হওয়া পর্যন্ত নজরদারিতে রেখেছে আইসিডিডিআর,বি, যাদের মধ্যে উপকূলীয় এবং পাহাড়ি এলাকার নারীরা রয়েছে। সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে যে, পাহাড়ি বা উঁচু এলাকায় বসবাসকারী নারীদের তুলনায় উপকূলীয় এলাকায়, সমুদ্রের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী নারীদের গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, যার হার ১১ শতাংশ। আপাতত পার্থক্যটি কম বলে মনে হলেও, সমুদ্রের কাছে সমতলে থাকা নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে। তবে মতলব নামের আরেকটি এলাকায় দেখা গেছে, চকোরিয়ায় যেখানে এই হার ১১ শতাংশ, মতলবের নারীদের মধ্যে সেটি ৮ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তারা যে পানি খাচ্ছেন, তার মধ্যে কী পরিমাণ লবণ রয়েছে, তার ওপর এই পার্থক্যটি নির্ভর করছে। পরিবারের সামনে আর কোন বিকল্প নেই ৫০ বছরের জান্নাত আরা বলছেন,'' লবণ ফসলের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এখানেই আমরা পুরো জীবন কাটিয়েছি। আমরা গরীব, অন্য কোথাও যাবার সামর্থ্য নেই।'' মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়া এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এসবে সামান্য একটি পরিবর্তন সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যখন সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ে, তখন লোনা পানি নদী এবং ওপরের স্রোতের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে, একসময় যা মাটিতে মিশে যায়। এমনকি এটি মাটির নীচের পানির সঙ্গেও মিশে যায় এবং পরিষ্কার পানিকে দূষিত করে তোলে। কুয়া বা নলকূপের মাধ্যমে সেই পানি পান করেন গ্রামবাসীরা। যেমন ফাইল্লা গ্রামের নলকূপ থেকে যে পানি বের হয়, তা খানিকটা লালচে ধরণের, লবণাক্ত। কিন্তু এই পানি খাওয়া ছাড়া, গোছল বা রান্নাবান্নায় ব্যবহার করা ছাড়া গ্রামবাসীর আর কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তির প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত না। কিন্তু চকোরিয়ায় উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে প্রতিদিন ১৬ গ্রাম লবণ খেতে হচ্ছে, যা পাহাড়ি এলাকার মানুষজনের তিনগুণ বেশি। যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলোয় অনেক বছর ধরে লবণ খাওয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছেন অধিকার কর্মীরা। এর ফলে হাইপার টেনশন, স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হার্ট অ্যাটাক, গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকির কথা বলেছেন। কিন্তু এই বাংলাদেশী পরিবারগুলোর কোন ধারণা নেই, পানির কারণে তারা কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। যদি তা তাদের জানাও থাকতো, তাদের সামনে কোন বিকল্পও নেই। ৫০ বছরের জান্নাত আরা বলছেন,'' লবণ ফসলের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এখানেই আমরা পুরো জীবন কাটিয়েছি। আমরা গরীব, অন্য কোথাও যাবার সামর্থ্য নেই।'' জীবন খুবই কঠিন কোন ধাত্রী ছাড়াই দুইটি সন্তান হয়েছে শারমিনের তার প্রতিবেশী, ২৩ বছরের শারমিন অবশ্য এই এলাকা থেকে চলে যেতে চান। কারণ তিনি অনিশ্চিত, তার দুই সন্তানের জন্য ফাইল্লাপাড়ায় কী ভবিষ্যৎ রয়েছে। '' জীবন খুব কঠিন এখানে,'' তিনি বলছেন। এসব সত্ত্বেও, আরেকটি সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। এই মুহূর্তে বলা যায় শারমিন বা আলমুন্নাহারের গর্ভপাতের হালকা সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যদি কোন পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তাহলে ড. হানাফি বলছেন, '' এটা আরো সমস্যা তৈরি করবে, যেহেতু বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে।'' বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। ২০০৫ সালের সুনামির পর অনেক এলাকায় কৃষি জমি ও পরিষ্কার পানি নষ্ট হয়ে গেছে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে ফ্লোরিডায় পরিষ্কার পান দূষিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু চকোরিয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব দেখা যাচ্ছে, তা বেশ অভিনব। ''জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে অনেক টাকা খরচ করা হচ্ছে, কিন্তু তার প্রায় কিছুই গবেষণার পেছনে ব্যয় হচ্ছে না। জনসাধারণের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব পড়ছে, তা দেখা হচ্ছে না। সবাই শুধু পরিবেশের বিপর্যয় নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু কেউ জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় আনছে না।'' বলছেন ড. হানাফি।
জলবায়ু পরিবর্তন: লোনা পানি কীভাবে বাংলাদেশী নারীদের গর্ভপাতের কারণ হয়ে উঠেছে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশে ভারত করোনাভাইরাস 'সুনামির' মুখোমুখি ওয়াশিংটন এবং দিল্লি-ভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ, ডিনামিক্স, ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ড. রামানান লাক্সমিনারায়ানান বিবিসিকে বলেছেন, ভারত হবে করোনাভাইরাস মহামারির পরবর্তী 'হট-স্পট' এবং দেশটিকে অতি জরুরী ভিত্তিতে 'করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সুনামির' জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করতে যে গাণিতিক সূত্র অনুসরণ করা হয়েছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও কমপক্ষে ৩০ কোটি লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, এই ৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৪০ থেকে ৮০ লাখ মানুষের শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যাদেরকে হাসপাতালে নিতে হবে। ড. নারায়ানান ভয়াবহ এই চিত্র এমন দিনে দিলেন যেদিন সরকারি হিসাবে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৪৯। তবে এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে সংখ্যা এত কম। "এখন যেসব দেশে মহামারি চলছে, সেসব দেশের পরিস্থিতি থেকে ভারত সম্ভবত দুই সপ্তাহ পেছনে রয়েছে। ইটালি বা স্পেনে এখন আমরা যেটা দেখছি বা চীনে আমরা সম্প্রতি যেমন দেখেছি, আগামী ক সপ্তাহের মধ্যে ভারতকেও তেমন সুনামির মত রোগীর স্রোতের মুখোমুখি হতে হবে।" ড. নারায়ানান বলেন, জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে ভারত বিশেষ হুমকির মুখোমুখি। করোনাভাইরাস মহামারির পরবর্তী 'হটস্পট' হতে চলেছে ভারত - ড. রামানান লাক্সমিনারায়ানান. পরিচালক, সেন্টার ফর ডিজিজ, ডিনামিক্স, ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসি ভারত কতটা প্রস্তুত? ড. নারায়ানান মনে করেন, ইউরোপের আক্রান্ত দেশগুলোর তুলনায় ভারতের চিকিৎসার অবকাঠামো অনেক দুর্বল। ভারতে বর্তমানে ৭০হাজার থেকে ১ লাখের মত আইসিইউ বেড রয়েছে, যেটা ৪০ থেকে ৮০ লাখ রোগী সামলানোর জন্য নিতান্তই অপ্রতুল বলে মনে করছেন ড. নারায়ানান। তিনি বলেন, "সুনামি ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে। আপনি যদি বসে বসে দেখেন, তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবেন। বাঁচার জন্য আপনাকে জান-প্রাণ দিয়ে ছুটতে হবে।" 'লকডাউন' শিবচরের প্রথম দিনের পরিস্থিতি করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে?
করোনাভাইরাস: চীন, ইটালির পর ভারত 'হটস্পট', রোগের 'সুনামিতে' ৩০ কোটি লোক আক্রান্ত হতে পারে
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন ৮ই মে পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে তাঁর আইনজীবীরা এই আদেশকে নজিরবিহীন এবং অপ্রত্যাশিত বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলছেন, এখন খালেদা জিয়া খুব সহসা মুক্তি পাচ্ছেন না। দলটির একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন, এমন পরিস্থিতির জন্য বিএনপি প্রস্তুত ছিল না। তাঁদের মধ্যে নতুন করে এক ধরণের হতাশা তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপি পরিস্থিতিটাকে বাস্তবতা হিসেবে ধরে নিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে কৌশলে এগুতে চাইছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট চার মাসের জামিন দিয়েছিল। এখন সরকার এবং দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্ট থেকে দেড় মাসেরও বেশি সময়ের জন্য জামিন স্থগিত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলেছে ১০ বছর ধরে। কিন্তু সেই বিচার কার্যক্রম এখনই শেষ হয়ে যাবে, এমনটা ধারণা করতে পারেননি বিএনপি'র শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। ফলে বিচার শেষে পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে যখন জেলে নেয়া হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে এসে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলেছে দশ বছর ধরে। বিএনপি নেতাদের অনেকের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, খালেদা জিয়া কারাবন্দী হলেও অল্প সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্তি পাবেন, দলটিতে এমন ধারণাও তৈরি হয়েছিল। দক্ষিণ পশ্চিমে খুলনায় বিএনপির ভাল অবস্থান রয়েছে। সেখানকার বিএনপির একজন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলছিলেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হবে, এ ব্যাপারে তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। "বিএনপি এটার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এই যে নির্বাচন সামনে রেখে তাঁকে আটক রাখা হয়েছে। এর পিছনে বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। নেতা-কর্মিদের মাঝে হতাশা দেখা দিতে পারে। নানান ধরণের ষড়যন্ত্রের মধ্যে বিএনপিকে ফেলতে পারে।" বিএনপির এই নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও বলেছেন, "বিএনপি বলুক যে বেগম জিয়ার মুক্তি না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি বলুক যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এবং এধরণের প্রতিকূল পরিবেশে যাতে বিএনপি নির্বাচনে না যায়, তারই ষড়যন্ত্র চলছে।" দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মিদের অনেকের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তাদের শীর্ষ নেত্রীকে জেলে নেয়ার ঘটনায় বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা কর্মিরা সক্রিয় হয়েছিল, সেটাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে জনগণকে সম্পৃক্ত করার কৌশল নিয়ে এগুনোর কথা দলের কেন্দ্র থেকে তাদের বলা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। কিন্তু এখন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি আবার হোঁচট খেয়েছে বলে তারা মনে করছেন। উত্তরের রাজশাহী থেকে বিএনপির একজন নেত্রী জাহান পান্না বলছিলেন, তাদের তৃণমুলে আবার যে হতাশা তৈরি হলো, তা কাটিয়ে উঠতে সময় প্রয়োজন হবে। যদিও বিএনপিতে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ায় মানুষের মাঝে একটা সহানুভুতির সৃষ্টি হয়েছে এবং গণসংযোগের মতো তাদের কর্মসূচিগুলোকে মানুষ সমর্থন করছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপির কর্মসূচি সরকারের উপর কোন চাপ তৈরি করতে পারেনি। সিনিয়র সাংবাদিক আমানউল্লাহ কবির বলছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুর কাছে এখন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার বিএনপির দাবি চাপা পড়ে গেছে। ঢাকায় বিএনপির অফিসের সামনে পুলিশ প্রহরা। "নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকারের যে দাবি বিএনপি করেছিল, সেটা এখন 'ফরগট ইট' বা অতীত হয়ে গেছে। বিএনপি আর সে সুযোগ পাচ্ছে না। খালেদা জিয়ার কারাবাসের পর যে আন্দোলন গড়ে তোলার কথা ছিল, সেটা কিন্তু পারেনি। সব মিলিয়ে তাদের নেতৃত্বে এক ধরণের হতাশা এবং একই সাথে কনফিউশন সৃষ্টি করেছে" বলে মি. কবির মনে করেন। বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। সেই প্রেক্ষাপটে দলটি সতর্কতার সাথে এগুবে বলে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলে আসছেন। এখনও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ায় তাদের দলে কিছুটা হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও তাঁরা সতর্কতার সাথে এগুতে চান। "কিছুটাতো আপনার এতে ক্ষোভ হতাশা সবই সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ নেতা-কর্মিদের। কিছুটা প্রভাবতো পড়বেই। তবে এটা ঠিক সরকারের দিক থেকে এটা আরেকটা প্রভোকেশন।যাতে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমরা সচেতনভাবে চেষ্টা করছি, প্রভোকেশনে ট্র্যাপ্ট না হতে।" বিএনপির নেতারা আরও বলছেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে এবং নেতা-কর্মিদের অংশগ্রহণ থাকে, এই ধরণের কর্মসূচিই তাঁরা অব্যাহত রাখতে চাইছেন। তাঁরা মনে করেন, একটা কঠিন সময় তারা পার করছেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের সিনিয়র নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। তবে বিএনপি এখনও সরকারের উপর কোন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বলে বিশ্লেষকরা যে বলছেন, সেখানে দলটি ভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল নেয়ার কথা বলছে। বিএনপি চাইছে, তাদের জোট এবং সরকারের জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর সাথে যুগপৎভাবে কর্মসূচি নিয়ে এগুতে। এর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে সব দলকে দাঁড় করানোর একটা চেষ্টা তাদের রয়েছে।
দলের প্রধান খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাসে এখন কোন পথে এগোবে বিএনপি?
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
সৌদি আরবে অধিকতর নারী অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এই রেডিও স্টেশন নসাওয়া এফএম (ফেমিনিজম এফএম) নামের এই স্টেশনটিতে যখন পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল বিষন্ন সুর। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা কথা বলছিলেন সারা নামের এক নারীকে নিয়ে। তাঁর গলা আবেগে কাঁপছিল। এক পুরুষ আত্মীয়ের হাতে খুন হয়েছিলেন সারা। সারা ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট। চাকরি করতেন। থাকতেন বাবা-মার সঙ্গে। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক ভিনদেশিকে। তার পছন্দের পুরুষটি ছিল ইয়েমেনের নাগরিক। "কিন্ত সারার এই স্বপ্ন কেড়ে নিল পাঁচটি বুলেট, তার ওপর গুলি চালিয়েছিল তারই ২২ বছর বয়সী ভাই। অথচ বাবা-মার সম্মতি নিয়েই সারার সঙ্গে এই ইয়েমেনি লোকটির বাগদান হয়েছিল," বলছিলেন উপস্থাপিকা আস্তার। এটি আসলে তার ছদ্মনাম, যুদ্ধ এবং প্রেমের মেসোপটমিয়ান দেবির এই নামটিকেই তিনি বেছে নিয়েছেন ছদ্মনাম হিসেবে। আস্তার টেলিফোনে তার নারীবাদী ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন নিয়ে কথা বলছিলেন বিবিসির আরবী বিভাগে সঙ্গে। 'সারাকে হত্যার এই ঘটনার খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। যারা তাকে চিনতেন, তারা এ নিয়ে কথাও বলেছেন," জানালের আস্তার। হানান শাহারি নামে আরেক সৌদি নারীর কাহিনীও জানালেন তিনি। ২০১৩ সালে হানান আত্মহত্যা করেছিলেন, কারণ প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়েতে বাধা দিচ্ছিলেন তার ভাই এবং চাচা, তাকে মারধোরও করেছিলেন। আস্তার বলছেন, সৌদি আরবে এরকম ঘটনা অনেক ঘটে, কিন্ত খুব কম ঘটনার কথাই জানা যায়। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ তিন সপ্তাহ আগে নসাওয়া এফএম একটি টুইটার একাউন্ট খুলে ঘোষণা করে যে তারা একটি সাপ্তাহিক রেডিও অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এটি হবে সৌদি আরবের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠদের কন্ঠস্বর। এই রেডিও স্টেশনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের যোগাযোগ করারও আহ্বান জানায় তারা। নারী অধিকারের পক্ষে নসাওয়া এফএমের একটি টুইট গত দু সপ্তাহে রেডিও স্টেশনটি থেকে দুটি এক ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। একটি মাইক্রোফোন, একটি ল্যাপটপ, এডিটিং সফ্টওয়্যার এবং স্ট্রীমিং ওয়েবসাইট মিক্সএলআর হচ্ছে তাদের সম্বল। রেডিও স্টেশনটির শব্দের মান মোটেই ভালো নয়, অনুষ্ঠানের মানও সেরকম কিছু নয়। পুরো ব্যাপারটাতে অপেশাদারিত্বের ছাপ স্পষ্ট। তবে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা আস্তার বলছেন, তারা শুরুতেই বিরাট সংখ্যাক শ্রোতা আকর্ষণ করতে পারবেন সেটা আশা করেন না। তবে নারী অধিকার নিয়ে তারা সচেতনতা সৃষ্টির যে চেষ্টা করছেন, তাতে ধীরে ধীরে শ্রোতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে পারেন এমন আশংকায় আস্তার তার অবস্থান সম্পর্কে জানাতে রাজী হলেন না। যদিও তিনি সৌদি আরবের বাইরে থাকেন। তাদের রেডিও স্টেশনের এই শুরুর দিনগুলোর সবকিছু তারা আর্কাইভ করে রাখছেন। যাতে ভবিষ্যতে মানুষ জানতে পারে, তাদের বাস্তব অস্তিত্ব আছে, তারা কোন অলীক মানুষ নন। "সৌদি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় টুইটার নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। তখন আমাদের সবকিছু কিন্তু হারিয়ে যাবে। সেজন্যেই আমরা রেডিও প্রোগ্রামকেই বেছে নিয়েছি। এখানে আমরা আমাদের সব চিন্তাভাবনা রেকর্ড করতে পারি, অন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে আমরা এই অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারি।" জাতিসংঘের হিসেবে, গত মে মাসের মাঝামাঝি হতে অন্তত ১৭ জন মানবাধিকার কর্মী এবং নারী অধিকার কর্মীকে সৌদি সরকার আটক করেছে।এদের অনেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদেশি এজেন্টদের সঙ্গে 'সন্দেহজনক' যোগাযোগের অভিযোগও এর মধ্যে আছে। দোষী সাব্যস্ত হলে এই অভিযোগে তাদের বিশ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। নসাওয়া রেডিও স্টেশনে এই মূহুর্তে দুজন উপস্থাপিকা এবং নয় জন কর্মী আছে। দুজন বাদে এদের আর সবাই সৌদি নাগরিক। এদের কেউ কেউ সৌদি আরবেই থাকেন। যেহেতু তারা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন টাইম জোনে থাকেন, তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও অনেকের পড়াশোনা, চাকুরিও সামাল দিতে হয়। আস্তার নিজেকে একজন 'অ্যাকটিভিস্ট' বলেই বর্ণনা করলেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করে তিনি তার চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দিতে চান। পুরুষদের 'অভিভাবকগিরি ব্যবস্থার' অবসান চান নারীবাদীরা সমাজ, ধর্ম এবং রাজনীতি সম্পর্কে আস্তার যে চিন্তাভাবনা করেন, তা প্রচলিত চিন্তার সঙ্গে বেশ সংঘাতপূর্ণ। তার এসব ভাবনা তিনি লিখে পাঠিয়েছিলেন কয়েকটি লেবাননী পত্রিকায় প্রকাশের জন্য। কিন্তু কেউ তা ছাপতে রাজী হয়নি। প্রাক ইসলামিক আরবের যে মাতৃতান্ত্রিক যুগে বিভিন্ন উপজাতির নেতৃত্বে ছিল নারী, সেই যুগের প্রতি তার অনুরাগের কথা জানালেন আস্তার। "আমার বিশ্বাস মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যদি আবার নারী ক্ষমতায় ফিরে আসে, বিশেষ করে বিচার বিভাগের মতো ক্ষমতাধর জায়গায়, এই বিশ্ব অনেক বদলে যাবে।" ঈদ উল ফিতর বা অন্য কোন উৎসবে যখন পরিবারের সবাই মিলিত হন, তখন আস্তার তার এসব ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা তার এসব ভাবনাকে মোটেই পাত্তা দেন না। "তারা বলেন পশ্চিমা দুনিয়া তোমার মগজ ধোলাই করেছে।" সৌদি আরবে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এখন আস্তার এবং তার বন্ধুরা আন্দোলন করছেন মেয়েদের ওপর পুরুষদের 'অভিভাবকগিরি ব্যবস্থা'র অবসান ঘটাতে। সৌদি 'পুরুষ অভিভাবকগিরি' ব্যবস্থায় নারীর পক্ষে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের পুরুষ সদস্যরাই। আস্তার এবং তার বন্ধুরা মনে করেন এটি একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। তারা এর অবসান চান।
সৌদি নারীবাদীরা যেভাবে চালাচ্ছেন গোপন ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৭৭ সালে জিমি কার্টার গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল লন্ডনের 'জি সেভেন' শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেয়া। তবে ঐ সফরে তিনি নিউক্যাসলও গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক উন্নয়নের এক মহাপরিকল্পনার অংশ ছিল নিউক্যাসল। তাই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউক্যাসল সিভিক সেন্টারের বাইরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের সামনে ভাষণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন মি. কার্টার। ঐ অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্থানীয় পত্রিকা ক্রনিকলের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, "তারা বিমানবন্দর, রাস্তাঘাট, সিভিক সেন্টারের বাইরে সব জায়গায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে জড়ো হয়েছিল। এবং তিনি সেই অভ্যর্থনা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন।" একসময় এভাবেই ব্রিটিশ জনতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাতো। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাজ্য সফরে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১৯৬১ সালে জন এফ. কেনেডি'র যু্ক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁকে আর তাঁর স্ত্রী জ্যাকি'কে একনজর দেখার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ লন্ডন বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তায় সারি বেঁধে দাড়িয়েছিল। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল যুক্তরাজ্যে, যা এত মানুষ জড়ো হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ছিল। আর সবশেষ যুদ্ধে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ) যুক্তরাজ্যের সহযোগী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যুক্তরাজ্যে আসতো অনেকদিন বিরতির পর। প্রথম সফরকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো উইলসন, যিনি ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ব্রিটেন গিয়েছিলেন। এরপর ২৭ বছর পর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্য সফরে যান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটেনের রাজপরিবারের কাছ থেকেও সৌহার্দপূর্ণ ব্যাবহার পেয়েছে। পঞ্চাশের দশকের প্রেসিডেন্ট ডুয়াইট আইজেনহাওয়ার রাণীর পছন্দের ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাজপরিবারের অবকাশ যাপনের স্থান বালমোরাল দুর্গে আমন্ত্রিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি'র যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁকে দেখতে জড়ো হওয়া মানুষ প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সাথেও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয় রাণীর। ১৯৮২ সালে উইন্ডসর দুর্গে থাকার জন্য রাণী ব্যক্তিগতভাবে মি. রিগ্যানকে নিমন্ত্রণ করেন। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনকে রাজকীয় প্রমোদতরী 'ব্রিটানিয়া'তে রাত্রিযাপনের সম্মান দেয়া হয়। ১৯১৮'তে উইলসনের পর জর্জ বুশ ২০০৩'এ প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাকিংহাম প্রাসাদে রাত্রিযাপন করেন। ১৯১৮ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করেন উড্রো উইলসন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সফরে উইন্ডসর অতিক্রম করার সময় রাজপ্রাসাদে এক কাপ চা'য়ের জন্য নিমন্ত্রিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর পূর্বসূরিরা যেরকম রাজনৈতিক অভ্যর্খনা পেয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তা'ও পাবেন না। ১৯৯৭ সালে বিল ক্লিনটন মন্ত্রীসভার সাথে বৈঠক করেছিলেন সেরকমও কোনো কার্যক্রম নেই ট্রাম্পের সফরে। এমনকি ২০১১'তে সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা'র ডাউনিং স্ট্রিট বাগানে বার্গার বানানো বা সংসদের দুই সভাতে ভাষণ, কিছুই থাকছে না ট্রাম্পের সফরে। ২০১১'তে ব্রিটেন সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সাথে বারাক ওবামা এসবের পরিবর্তে মি. ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি 'চেকার্স'এ ভ্রমণে যাবেন, ১৯৭০ সালে যেমনটা গিয়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। মি. ট্রাম্পের এই সফর আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর নয়। রাষ্ট্রীয় সফরের পরিকল্পনা থাকলেও তার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাষ্ট্রীয় সফরে ভুলত্রুটি বলাই বাহুল্য, রাষ্ট্রীয় সফরও অনেকসময়ই পরিকল্পনামাফিক হয় না। ১৯৮২ সালে রাণী'র পক্ষ থেকে রোনাল্ড রিগ্যানকে পাঠানো আমন্ত্রণের জবাব দিতে দেরী করেছিল হোয়াইট হাউজ, যার ফলে সেসময় কিছুটা কূটনৈতিক অস্থিরতা তৈরী হয়েছিল। ১৯৮২ সালে উইন্ডসর প্রাসাদে রাণী'র সাথে রোনাল্ড রিগ্যান ১৯৯৭'এ টেমস নদীতে চলমান এক বজরাকে জায়গা করে দিতে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ খুলে দেয়ায় বিল ক্লিনটনের বিশাল গাড়িবহরকে কিছুক্ষণের জন্য দু'ভাগে ভাগ হয়ে যেতে হয়। সেসময় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা রক্ষীরা বেশ ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন। কাজেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পরিদর্শন যেন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য চেষ্টার অন্ত থাকবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নানা ধরণের পরিকল্পনা থাকলেও, তাঁর কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে লন্ডন থেকে চেকার্স, চেকার্স থেকে উইন্ডসর আর উইন্ডসর থেকে স্কটল্যান্ডের যাত্রায় বিক্ষোভকারীদের সাথে তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বিক্ষোভ কার্যক্রম আড়াল করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্তরাজ্যের রজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য আলোচনায় আসছে এই সফরের আগে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ, ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করা, জেরুসালেমে মার্কিন দুতাবাস স্থানান্তর করা, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ নানা সিদআন্তের সমালোচনা করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। কাজেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসপ্তাহের সফরের মাধ্যমে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর কি পূর্বের মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সফরের চেয়ে আলাদা হবে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন যে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে জেনারেল আহমেদকে উদ্ধৃত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রিয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে এই বিষয়টি দূতাবাসের ডিফেন্স উইং দেখছে। তবে এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য তিনি করতে রাজী হননি। পরে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম অবশ্য বিবিসি বাংলাকে টেলিফোন করেন এবং জানান যে রাষ্ট্রদূত ব্যস্ত আছেন। মিস্টার ইসলাম বলেন, "এটি আসলে এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক হবে বলে জানিয়েছেন মাননীয় সেনাপ্রধান"। রোববার দেয়া দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।" এতে বলা হয়, "তিনি আজ (৩রা ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন কালে এ কথা জানান"। বর্তমানে সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওইদিন সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল-রুয়ায়লির সাথে বৈঠক করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশ এর সাথে রিয়াদে এক বৈঠক করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর ধর্ণা: কে এই রাজীব কুমার? 'যেভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলাম' ইমামদের বয়ান ঠিক রাখতে অ্যাপ চালু করছে সৌদি আরব সৌদি আরব - ইরান দ্বন্দ্ব: কে কার বন্ধু? দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান প্রতিরক্ষা সমঝোতায় কী থাকছে? দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হবে, তাতে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন এবং তাদের কাজের ধরণ কী হবে তা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সৌদি-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে"। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১,৮০০ সৈন্য সৌদি আরবে মোতায়েন করা হবে। বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের ইয়েমেন সীমান্তে মাইন অপসারণের কাজে নিয়োজিত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী বেশ অনেকদিন ধরেই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো জানান, সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টারটেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)-এ বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি: কী থাকছে এই সামরিক সমঝোতা চুক্তিতে?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বিকল্প সব কিছু জীবাণুমুক্ত থাকার নিশ্চয়তা দেয়না এর উদ্দেশ্য ছিলো দুটি—প্রথম ভাইরাসের সাথে লড়াই আর দ্বিতীয়ত মানুষকে দেখানো রহস্যময় নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গণপরিবহনে অনেক সময় যাত্রীরা না বুঝেই পরিচ্ছন্ন আসনে বসে পড়তো এবং পরে দেখা যেতো তার ট্রাউজার ধবধবে সাদা। বিকল্প এমন অনেক আইডিয়া দেখা যাচ্ছে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন কারণ কর্তৃপক্ষ এক কোটিরও বেশি মানুষের শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে এবং লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। শহরের আটকেপড়া অধিবাসীরা এখন মহামারীর সাথে খাপ খাওয়াতে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা শুরু করেছ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাস: 'ত্রুটি ও ঘাটতি' স্বীকার করলো চীন সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই নিজের সুরক্ষা মুখের মাস্ক চীনে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। জনসমাগম বেশি এমন জায়গায় জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে, মেকআপ টিক রাখতে কিংবা দূষন থেকে মুক্ত থাকতে এটি বহুল ব্যবহৃত। অনলাইনে লটারি করে নিতে হচ্ছে মুখের মাস্ক তাই এবারের মহামারীর চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এটি বাজারে পাওয়া যাবেনা সেটি অবাক করার মতো কোনো বিষয় নয়। এগুলো এখন বিক্রি হতে পারে হট কেকের মতো যদিও ভাইরাস প্রতিরোধে এগুলো কতটা কার্যকর সে সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে শুধু মাস্ক যথেষ্ট নয়- উদাহরণস্বরূপ হাত ধোয়াটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশীদেরও ওপর দেয়া হচ্ছে নানা বিধি নিষেধ। একটি পরিবার থেকে একজন পাঠানোর অনুমতি আছে বিশেষ প্রয়োজনে। যারা যাচ্ছে তাদের তথ্যও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কিছু ভবনের লিফটে টুথপিক দেয়া হচ্ছে বাটন চাপার জন্য ডেলিভারি সার্ভিস গুলোও নতুন পন্থা বের করেছে। তারা লকার ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সরাসরি সাক্ষাত এড়ানোর জন্য। মুখে মাষ্ক সর্বত্র ভবনের ভেতরে লিফটগুলো টিসু বা টুথপিক রাখা হচ্ছে এবং এগুলোর জন্য অন্যদের সাথে যোগাযোগ কম করার অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে বিয়ে শাদীতেও চীনা জুটিগুলোর বিয়ের জন্য ০২-০২-২০২০ ছিলে বিশেষ দিন। তবে বেইজিং ছাড়া অন্যত্র কর্তৃপক্ষ বড় জমায়েত এড়াতে বিয়ে রেজিস্ট্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে সেদিন সিচুয়ান প্রদেশে ৫দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে যেটি উহানের এক হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে। মানুষজন তখন দ্বিধান্বিত ছিলো যে ঘরেই থাকবো ও ভবন ধ্বসে মরবে কিনা নাকি বাইরে গিয়ে করোনাভাইরাসের মুখে পড়বে। তবে শো মাস্ট গো অন- এই চেতনায় আটকে পড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাদের সম্পর্ককে নিয়ে গেছে অনলাইনে। চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলছে পহেলা ফেব্রুয়ারির পর এক কোটি বিশ লাখ শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ করেছে। তবে বিজ্ঞানীরা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলছে সার্সের চেয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আশংকা কম। কিন্তু যখন গবেষকরা চেষ্টা করছেন নতুন ভ্যাকসিনের জন্য তখন আটকে পড়া মানুষ নিজের মতো করেই সংকট মোকাবেলায় বের করছে সমাধান।
চীনে করোনাভাইরাস: বিয়ে বাতিল, শ্রেণীকক্ষ খালি, পাল্টে গেছে জীবন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
কবরের জমির সংকট। তাই একই কবরেই ঠাঁই দিতে হচ্ছে একই পরিবারের অনেক সদস্যকে। ঢাকায় যে আবাসন মেলা চলছে, সেখানে এই অভিনব ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়ে হাজির হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। গতকাল মেলার শেষ দিনে গিয়ে দেখা গেল, তাদের স্টলেও ভিড় করছেন অনেকে। এদের একজন শফিকুল ইসলাম। অন্যান্য স্টলে ঘুরে একটি স্টলের সামনে এসে দাঁড়ালেন। এমআইএস হোল্ডিংস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি মেলায় কবরের জন্য প্লটের বুকিং নিচ্ছে। শফিকুল ইসলাম স্টলের কর্মীদের কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছিলেন প্রয়োজনীয় তথ্য। ইসমাইল হোসেন নামে একজন দর্শনার্থী বলছিলেন, ঢাকা শহরে কবরের স্থানের যে অপ্রতুলতা রয়েছে সে অনুযায়ী এই উদ্যোগটা তার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। "এই জিনিসটা ঢাকা শহরের জন্য ঠিক আছে। কারণ ঢাকা শহরে কবরস্থান দিনে দিনে একটা সংকটের দিকে চলে যাচ্ছে। একটা কবর দেয়ার পর হয়ত তিনমাস পর আবার সেখানে রিপ্লেস করা লাগছে। এখন এরা যদি সততার সাথে কবরগুলো মানুষকে বুঝিয়ে দিতে পারে তাহলে আমি মনে করি এটা খুব ভালো কাজ।" নিজের জন্য একটি কবরের প্লট বুকিং দিয়ে রাখা যায় কীনা, সেটা নিয়ে সত্যি সত্যি ভাবছেন ইসমাইল হোসেন। "চিন্তা-ভাবনা করবো, যদি দেখি তাদের কাগজপত্র, সরকারের অনুমোদন সব ঠিক আছে তাহলে আমি চিন্তা করবো এখানে একটা জায়গা কেনার।" আজিমপুরের কবরস্থানটিতে ৩০ হাজারের মতো কবরের যায়গা হয়। বাংলাদেশে কবরের জন্য জমি বা প্লট বিক্রির বলা যেতে পারে এটাই প্রথম কোন বেসরকারি বাণিজ্যিক উদ্যোগ। আরও পড়ুন: ঢাকায় মরদেহ কবর দেয়ার জায়গার এত অভাব কেন? সাভারের কবরস্থানের চুরি হওয়া লাশ যাচ্ছে কোথায় এম আই এস হোল্ডিং লিমিটেডের এই প্রকল্পটি ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলছিলেন কেন তারা প্লট বা ফ্লাটের পরিবর্তে কবরস্থান তৈরির উদ্যোগ নিলেন? "এই খবরটা জানার পরে অনেকে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বলে কবর নিয়েও ব্যবসা করে! কিন্তু চিন্তা করলে দেখা যায় - যখন বাংলাদেশে মিনারেল ওয়াটার এসেছিল তখন মানুষ বলতো, পানি আবার কিনে খেতে হবে! কিন্তু সেই পানি এখন আমাদের সব সময় লাগে। তেমনি ভাবে এই বিষয় আমাদের জীবনের অংশ। আসলে নতুনত্বকে গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।" ঢাকায় ৮টি সরকারি কবরস্থান রয়েছে। ৫, ১০, ১৫ ও ২৫ বছর, এরকম নানা মেয়াদে সেখানে জায়গা বরাদ্দ আছে খুব অল্প কিছু কবরের। যার জন্য দেড় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। কিন্তু সেটি যারা পারছেন না তাদের জন্যেই অস্থায়ী কবর। আর সেই সংখ্যাটিই বেশি। দুবছর পর পর সেসব কবরে যোগ করা হয় আরেকটি মরদেহ। তাই এখন এই স্থায়ী কবরস্থানকে ভালো ভাবে দেখছেন মেলায় আসা অনেকে। ঢাকার আজিমপুরের কবরস্থানটিতে ৩০ হাজারের মতো কবরের জায়গা হয়। বনানী কবরস্থানে রয়েছে ২২ হাজার কবরের জায়গা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলছিলেন তাদের এই মূহুর্তে রেডি কবরের প্লট রয়েছে দু্‌ই হাজার, তবে মেলায় দুশোটির মত বুকিং পেয়েছেন তারা। "আমাদের অনেক ভালো রেসপন্স আলহামদুলিল্লাহ। সবাই এটাকে ভালো বলছে। আমাদের ২০০টির মত বুকিং হয়েছে। আর এটা একদম নতুন। অনেকে জানে না। জানলে আস্তে আস্তে আমরা আরো ভালো রেসপন্স পাবো।" ঢাকা শহরের মানুষ যত বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে কবর দেয়ার জায়গার সংকট। এটাই কঠিন বাস্তবতা। তাই আপনজনের কবরের উপর অন্য কারো কবর যাতে না হয় সে কারণে অনেকে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন স্থায়ী এই ব্যবস্থায়।
ঢাকার আবাসন মেলায় কবরের প্লটের আগাম বুকিং
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকা সব গাছের পাতা খেয়ে ফেলছে। এরকম শত শত পোকা দলবেঁধে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটার গাছপালায় আক্রমণ চালিয়ে উজাড় করে ফেলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালো রঙের ডোরাকাটা এই পোকাগুলো দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মতো বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। পোকার আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কক্সবাজার থেকে কৃষি কর্মকর্তা এসে পোকাগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তারা জানিয়েছেন এ ধরণের পোকা তারা আগে কখনও দেখেননি। পোকাগুলোর ছবি দেখে অধ্যাপক রুহুল আমিন ধারণা করছেন, এগুলো স্খিস্টোসার্কা গ্রেগারিয়া প্রজাতির পঙ্গপাল। যেগুলো বেশ বিধ্বংসী হয়ে থাকে। বাংলাদেশে লোকাস্টা মাইগ্রেটোরিয়া প্রজাতির পোকা রয়েছে। যেগুলো ঘাসফড়িঙয়ের মতো। আকারে বড় হলেও, খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। নতুন ছোট প্রজাতির এই পোকাগুলো যদি পঙ্গপাল হয়ে থাকে এবং সেগুলো যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে সামনে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন মি. আমিন। কেননা পঙ্গপাল বহুভোজী পোকা। এরা ঝাঁক বেঁধে শস্য, ফসল থেকে শুরু করে বন জঙ্গলে হামলা চালিয়ে সব উজাড় করে ফেলে। যেহেতু পোকাটি অনেক গাছপালা খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে তাই একে ক্ষতিকর বলে মনে করছেন টেকনাফ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারাও। এই পোকা যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তারা স্থানীয়দের কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: ধান কাটার মতো শ্রমিক নেই, যান্ত্রিক নির্ভরতা কতোটা জরুরি পঙ্গপাল: বাংলাদেশে ঝুঁকি কতটা? পঙ্গপাল তাড়াতে গুলি, টিয়ারগ্যাস, সাইরেন গত বছরের শেষ দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল আফ্রিকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে আক্রমণ চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানে পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়। যার কারণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়। ভারতের পাঞ্জাবে প্রদেশে এই পঙ্গপাল ঢুকে পড়লে আশেপাশের কয়েকটি রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়। এছাড়া চীন এবং মিয়ানমারেও পঙ্গপালের উৎপাত দেখা দিয়েছে। পঙ্গপালের ঝাঁক যেহেতু ভারত, মিয়ানমারে পৌঁছেছে, এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মি. আমিন, যা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে একটি অশনি সংকেত। কেননা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে দেশজুড়ে বোরো ধান পাকলেও কৃষি শ্রমিক এবং যন্ত্রপাতির অভাবে এখনও সব ফসল তোলা সম্ভব হয়নি। এমন সময়ে যদি পঙ্গপাল আঘাত হানে তাহলে বিপুল পরিমাণে ধান ধ্বংস হয়ে যাবে যার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, পঙ্গপাল সাধারণত দানাজাতীয় ফসল যেমন, ধান, গম, যব, ভুট্টা, কাউন ইত্যাদি ফসলে আক্রমণ চালায়। পঙ্গপালের একটি ঝাঁকে কয়েকশ পতঙ্গ থাকে এবং এরা খুব দ্রুত ওড়ে। যা দলবেঁধে একরের পর একর জমির ফসল নিমেষেই উজাড় করে ফেলতে পারে। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বলছে, একটি বড় পঙ্গপাল দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফেলতে পারে। এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল একসঙ্গে যে পরিমান খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই পোকাগুলো দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মতো বলে জানিয়েছেন কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। মি. আমিন জানিয়েছেন, একটি পঙ্গপালের জীবনচক্র খুব দ্রুত প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এবং উষ্ণ আবহাওয়ায় তারা বেশি বেশি বংশবিস্তার করে। পঙ্গপালের জীবনচক্রের তিনটি ধাপ থাকে, ডিম, নিম্ফ এবং পূর্ণাঙ্গ। টেকনাফে যে পোকাগুলো দেখা গেছে, সেগুলোর পাখা থাকলেও কোনটা উড়তে পারে না। এরা পাতা থেকে আরেক পাতায় লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। মি. আমিন ধারণা করছেন পঙ্গপালগুলো হয়তো নিম্ফ পর্যায়ে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এগুলোর পাখা গজাতে পারে। সাধারণত এই পোকাগুলো সংখ্যায় বাড়ার পর যাযাবর হয়ে ঘোরাফেরা করে এবং চলতি পথের ফসল নষ্ট করে দেয়। টেকনাফে দিন দিন এই পোকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ারে স্থানীয়রা বেশ উদ্বেগের মধ্যে আছেন। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানিয়েছেন, তারা এখনও নিশ্চিত নন এটি পঙ্গপাল কিনা। তাই এখনও তারা কোন ধরণের মনিটরিং শুরু করেননি। টেকনাফে যে পোকাটি পাওয়া গেছে সেটার বৈশিষ্ট্য দেখে আফ্রিকায় আঘাত হানা ভয়াবহ পঙ্গপাল বলে মনে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। তারপরও এই পোকার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দুই একদিনের মধ্যে টেকনাফে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। এটি আসলেও বিধ্বংসী পঙ্গপাল কিনা সেটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মি. আমিন। বর্তমানে দেশব্যাপী লকডাউন চলায় তারা পোকাটির নমুনা গাজীপুরের ল্যাবে এনে পরীক্ষা করতে পারছেন না। লকডাউন ওঠার আগ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাকে এই পোকাটিকে শুকিয়ে ন্যাপথালিন দিয়ে অথবা ৭০% ইথানলে চুবিয়ে রেখে না হলে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন। পঙ্গপাল সদৃশ পোকা যদি এটি আফ্রিকার বিধ্বংসী পঙ্গপাল হয়ে থাকে। তাহলে এর উপদ্রব ঠেকানোর কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন মি. নাসিরুজ্জামান। কারণ বিশ্বে এখন পর্যন্ত পঙ্গপাল দমন করার কোন কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক এজেডএম সাব্বির ইবনে জাহান এর আগে বিবিসি বাংলাকে বলেন, "উড়ে আসা পতঙ্গের আক্রমণ থেকে ফসলি জমি রক্ষার কোন উপায় নেই। এদের যাত্রা থামিয়ে দেবার কোন পদ্ধতিও আবিষ্কৃত হয়নি।" পঙ্গপালের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দেশে উড়োজাহাজের মাধ্যমে কীটনাশক ছিটিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এতে উপকারী কীটপতঙ্গও মারা যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা একে কার্যকরী পদ্ধতি বলতে চাইছেন না।
টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার আক্রমণ, ফসল ধ্বংসের আশঙ্কা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
হালালা বা হিল্লে বিয়ের জন্য অনলাইন সার্ভিসের খবর পাওয়া যাচ্ছে আর তালাক হয়ে যাওয়ার পর আবার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হলে নারীকে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার যে বিতর্কিত বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়, আরবিতে তার নাম 'হালালা' বিয়ে। তবে বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যেটি 'হিল্লা বিয়ে' নামে পরিচিত। অধিকাংশ মুসলিম দেশই এই বিতর্কিত হালালা বা হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করেছে। পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিলও এটি হারাম এবং নিষিদ্ধ উল্লেখ করে এ ধরনের বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করছে। কিন্তু তারপরও ব্রিটেনে এ ধরণের বিয়ের আয়োজনে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অনলাইন সার্ভিস। বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে এ ধরনের সার্ভিসের বিনিময়ে নারীকে দিতে হয় কয়েক হাজার পাউন্ড। হালালার ক্ষেত্রে নারীকে অচেনা একজনকে বিয়ে করতে হয়, তার সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে হয় এবং তারপর তাকে তালাক দিতে হয়। আর এরপরই সে ফিরে পেতে পারে তার প্রথম স্বামীকে। বিবিসির কাছে তেমনি একটি ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন ফারাহ। ফারাহ'র (ছদ্মনাম) স্বামীর সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিলো ২০ বছর বয়সে পারিবারিক এক বন্ধুর মাধ্যমে। এরপর বিয়ে এবং পরে সন্তান হওয়ার পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় বলে জানান ফারাহ। পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল কর্মকর্তা খোলা হাসান বলছেন হালালা বিয়ে হলো ভূয়া বিয়ে বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে ফারাহ বলেন, "প্রথমে নির্যাতন করতো টাকার জন্য। আমার চুল ধরে টেনে দু'রুমের মধ্য দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিতে চাইতো"। এরপরেও ফারাহ আশাবাদী ছিলেন যে অবস্থার পরিবর্তন হবেই এবং তার স্বামীর আচরণ বদলাবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো মেসেজ পাঠিয়ে স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিলো। "আমি বাচ্চাদের সাথে বাসায় ছিলাম, আর সে গিয়েছিলো কাজে। ফোনে তীব্র তর্কের এক পর্যায়ে সে মেসেজ পাঠালো - তালাক তালাক তালাক"। আর মুসলিম বিবাহ পদ্ধতি অনুযায়ী এক সাথে তিনবার তালাক উচ্চারণ করলে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আরও পড়ুন : মাশরাফির অবসর: বোর্ডকে দুষছেন সমর্থকরা সৌদি নারীদের নীরব প্রতিবাদ, অনলাইন ক্যাম্পেইন বেশিরভাগ মুসলিম দেশেরই এটা নিষিদ্ধ কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা হচ্ছে। আর ব্রিটেনে এটা খুঁজে বের করা মুশকিল যে কত নারী এভাবে তালাক পাচ্ছে। স্বামীর কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার পর ফারাহ যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে - "আমি বাবাকে পাঠাই ওটা। তিনি বললেন তোমার বিয়ে শেষ এবং তুমি আর তার (স্বামী) কাছে ফিরে যেতে পারোনা"। ফারাহ বলেন এ ঘটনায় তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু তারপরেও তিনি সাবেক স্বামীর কাছে ফেরত যেতে চান, কারণ তিনি তার জীবনের ভালোবাসা। আর সাবেক স্বামীও দুঃখ প্রকাশ করছিলেন। আর এটিই ফারাহকে নিয়ে যায় বিতর্কিত হিল্লা বিয়ে পদ্ধতির দিকে, যা এখন খুব কম সংখ্যক মুসলিমের কাছেই গ্রহণযোগ্য। মুসলমানদের বড় অংশই এখন এ ধরনের বিয়ের বিপক্ষে এবং বলা হয় যে এটার জন্য দায়ী তালাক সম্পর্কিত ইসলামী আইন নিয়ে ভুল ধারণা যারা এটি বিশ্বাস করেন বা তিন তালাক পদ্ধতি বিশ্বাস করেন, তাদের বিশ্বাস যে আগের স্বামীর কাছে যেতে হলে তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করে তালাক দিয়ে এরপর ফিরে যেতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হালালা বা হিল্লা বিয়ের সার্ভিস নিতে হয় আর্থিক প্রতারণা কিংবা এমনকি অনেকক্ষেত্রে অনেকে যৌন হয়রানির শিকার হন। মুসলমানদের বড় অংশই এখন এ ধরনের বিয়ের বিপক্ষে এবং বলা হয় যে এটার জন্য দায়ী তালাক সম্পর্কিত ইসলামী আইন নিয়ে ভুল ধারণা। কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে এ ধরনের অনেক অনলাইন সার্ভিস আছে যারা অর্থের বিনিময়ে হালালা বা হিল্লা বিয়েতে সহযোগিতা করে। এমনকি এ ধরনের অস্থায়ী বিয়ের জন্য অনেক নারীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে হাজার হাজার পাউন্ড। ফেসবুকে হালালা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন করেন এমন একজনের সাথে বিবিসি রিপোর্টার তালাকপ্রাপ্তা মুসলিম মহিলা পরিচয়ে কথা বলার পর সেই ব্যক্তি অস্থায়ী বিয়ের জন্য ২৫০০ পাউন্ড দিতে হবে বলে জানান। এবং বলেন যে বিয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজী হতে হবে। তিনি জানান তার সাথে এ ধরনের কাজ করছে আরও কয়েকজন পুরুষ। পরে যখন বিবিসির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত নন। বরং তার দাবি তিনি ফান করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল, যারা তালাক নিয়ে নারীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাদের একজন কর্মকর্তা বলছেন হালালা বিয়ে একটি ভুয়া বিয়ে কিন্তু স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে ফারাহ এমন একজন পুরুষকে খুঁজতে শুরু করেন যিনি স্বেচ্ছায় হালালা বিয়েতে রাজী আছেন। ফারাহ জানান তিনি কিছু মেয়েকে চেনেন যারা পরিবারের সমর্থন ছাড়াই গেছেন এবং কয়েক মাস ধরে ব্যবহৃত হয়েছেন। "তারা মসজিদে গেছে এবং সেখানে সুনির্দিষ্ট কক্ষে এটি সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ইমাম বা যারা এ সার্ভিস অফার করেছে, তাদের সাথে বিছানায় যেতে হয়েছে। এবং পরে অন্য পুরুষকেও তার সাথে থাকার অনুমতি দিতে হয়েছে"। কিন্তু পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল, যারা তালাক নিয়ে নারীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাদের একজন কর্মকর্তা খোলা হাসান বলছেন, "হালালা বিয়ে একটি ভুয়া বিয়ে। এটি শুধু অর্থ নেয়া আর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের হয়রানির একটি মাধ্যম"। তিনি বলেন, "এটা হারাম, এটা নিষিদ্ধ। আমরা কাউকে হালালা বিয়েতে অনুমোদন দেইনা। যা-ই ঘটুক হালালার দরকার নেই"।
বিয়ে বাঁচাতে যখন অচেনা লোকের সাথে রাত কাটাতে হয়
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেনএবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এর পরপরেই প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্তের কথা তাদের জানান। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিষয়ে আজ বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত জানাবেন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই বলে তিনি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আজ বুধবারও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা তিনি বলেন "আমাদের দাবি নিয়ে , ছাত্রদের দাবি নিয়ে আমরা কথা বলেছি প্রধানমন্ত্রীর সাথে। সেই দাবি মেনে নিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন কোটা ব্যবস্থা সরকারি চাকরিতে থাকবে না"। ছাত্রলীগের এই নেতা আরো বলেন "এর আগে তিনি একটা টাইমলাইন দিয়েছিলেন, এখন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এরপরে আর কোন আন্দোলন থাকার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না"। এদিকে আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার কোটা সংস্কারের বিষয়ে কথা বলতে পারেন। এদিকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরো পড়ুন: ছবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন কোটা সংস্কার আন্দোলন: পিছিয়ে নেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোটা সংস্কার: বিভেদ দূর হলো মতিয়া চৌধুরীর উক্তিতে মেয়েরা কেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে এতটা সম্পৃক্ত?
'সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না' প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর ছাত্রলীগ সভাপতি
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাকর্মীদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে- কখন রোগীর ভেন্টিলেটার বন্ধ করে দিতে হবে। ভেন্টিলেটার তাদের ফুসফুসে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন জোগায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে আনে অর্থাৎ রোগী যখন নিজে নিজে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারে না, তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ায় ভেন্টিলেটার। কিন্তু এই ভেন্টিলেটারে দেয়ার মানে এই নয় যে এতে সব রোগীর জীবন বাঁচবে। সে কারণেই এখানে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নেবার বিষয় থাকে যে কখন তারা মনে করবেন সেই রোগীর আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই, এবং ভেন্টিলেটার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে। "ভেন্টিলেটার বন্ধ করে দেয়াটা খুবই মানসিক চাপের এবং কষ্টের মুহূর্ত। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী," বলছেন জুয়ানিতা নিত্তলা। লন্ডনের রয়াল ফ্রি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রধান নার্স তিনি। ভেন্টিলেটার (ছবির বাঁদিকে) রাখা আছে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীকে সাহায্য করার জন্য দক্ষিণ ভারতে জন্ম নিত্তলা ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবায় (এনএইচএস) কাজ করছেন গত ১৬ বছর ধরে। তিনি নিবিড় পরিচর্যা সেবায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নার্স। "ভেন্টিলেশন বন্ধ করাটাই আমার কাজ," বিবিসিকে বলছিলেন ৪২ বছরের এই নার্স। শেষ ইচ্ছা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক সকালে নিত্তলা যখন তার শিফটে যোগ দিলেন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) -এর ডাক্তার তাকে বললেন কোভিড -১৯ এর একজন রোগীর চিকিৎসা তাকে বন্ধ করে দিতে হবে। রোগী ছিলেন পেশায় একজন কমিউনিটি নার্স - ৫০এর কোঠায় বয়স। নিত্তলা তার মেয়েকে জানালেন গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে। "আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম তার মায়ের কোন কষ্ট হচ্ছে না। তিনি খুব প্রশান্তির মধ্যে আছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম তার মায়ের কোন শেষ ইচ্ছা আছে কি না এবং ধর্মীয়ভাবে তিনি কিছু চান কিনা।" আইসিইউ-তে বিছানাগুলো পাশাপাশি। নিত্তলার চারপাশে যত রোগীর তিনি দেখাশোনা করছেন তারা সবাই অচেতন। "সব রোগীই গুরুতর অসুস্থ। আমি ওই রোগীর চারপাশ পর্দা দিয়ে ঘিরে দিলাম। এবং সবরকম অ্যালার্ম বা সতর্কসঙ্কেত বন্ধ করে দিলাম।" মহামারির কারণে নিত্তলার মত আইসিইউ নার্সদের এখন দম ফেলার সময় নেই। সব চিকিৎসা কর্মী কয়েক মুহূর্তের জন্য কাজ বন্ধ রাখলেন। "নার্সরা কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। রোগীর সম্মান এবং তাকে স্বস্তি দেওয়াটাই তখন আমাদের অগ্রাধিকার," বললেন নিত্তলা। নিত্তলা রোগীর কানের কাছে ফোন ধরলেন এবং তার মেয়েকে বললেন "কথা বলুন"। "আমার কাছে ওটা একটা ফোন কল মাত্র। কিন্তু তার পরিবারের জন্য ওটা ছিল বিশাল পাওয়া। ওরা চেয়েছিলেন ভিডিও কল করতে। কিন্তু দুভার্গ্যবশত আইসিইউ-র ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই।" বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? মেশিন বন্ধ রোগীর পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী, নিত্তলা কমপিউটার থেকে একটা নির্দিষ্ট মিউজিক ভিডিও বাজালেন। এরপর তিনি গিয়ে ভেন্টিলেটারের সুইচটা বন্ধ করে দিলেন। "আমি তার পাশে বসলাম, যতক্ষণ না প্রাণবায়ু বেরলো আমি তার হাত ধরে পাশে বসে রইলাম।" রোগীর সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে অবস্থা সামাল দিতে রয়াল ফ্রি হাসপাতালের মত ব্রিটেনের বহ হাসপাতালের আইিসইউতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে নি:শ্বাস নেবার জন্য সবরকম সহায়তা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেন শুধু ডাক্তাররা এবং সেটা তারা নেন খুবই সতর্কতার সঙ্গে সব দিক বিবেচনা করে, যেমন রোগীর বয়স, তার আর কোন অসুখ আছে কি না, তিনি চিকিৎসায় কেমন সাড়া দিচ্ছেন, তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা কতটা, সবদিক বিশ্লেষণ করে। ভেন্টিলেটার যন্ত্র বন্ধ করে দেবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওই রোগী মারা গেলেন। "আমি মনিটারে দেখলাম আলো ফ্লাশ করছে এবং মনিটারের পর্দায় হৃদস্পন্দন থেমে যাবার যান্ত্রিক সঙ্কেত।" একাকী মৃত্যু তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার জন্য নলের মাধ্যমে যেসব ওষুধ দেয়া হচ্ছিল সেসব নল খুলে দিলেন নিত্তলা। রোগীর মেয়ে যেহেতু জানতেন না যে কী হচ্ছে, তিনি তখনও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছিলেন। তিনি ফোনে তাকে কিছু প্রার্থনার কথা শোনাচ্ছিলেন। নিত্তলার খুব কষ্ট হচ্ছিল তাকে বলতে, কিন্তু তারপরেও ফোনটা নিজের হাতে নিয়ে তাকে বলতে হল তার মা মারা গেছেন। আইসিইউতে অনেক রোগী একাকী মারা যাচ্ছেন কারণ আত্মীয় স্বজনদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না একজন নার্স হিসাবে, তিনি বলছেন , একজন রোগী মারা যাবার সঙ্গে সঙ্গেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। "একজন সহকর্মীর সাহায্য নিয়ে আমি তাকে পরিষ্কার করলাম, সাদা কাপড়ে মুড়ে তার লাশ বডি ব্যাগে ঢোকালাম আর ব্যাগ বন্ধ করার আগে আমি রোগীর কপালে ক্রশ চিহ্ন এঁকে দিলাম ধর্মীয় রীতি মেনে, " বিবিসিকে বলছিলেন নিত্তলা। করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের আগে কোন রোগীর চিকিৎসা বন্ধের আগে ডাক্তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেন। কৃত্রিম শ্বাসব্যবস্থার যন্ত্র বন্ধ করে দেবার আগে নিকট আত্মীয়দের আইসিইউ-তে ঢুকতে দেয়া হতো। এখন করোনাভাইরাস থেকে সংক্রমণের আশংকায় বিশ্বের বহু দেশে এটা বন্ধ হয়ে গেছে। "একাকী এভাবে মারা যাওয়াটা গভীর দু:খের," নিত্তলা বলছিলেন। তিনি বলছেন যারা মৃত্যু পথযাত্রী তাদের সাহায্য করতে পারার মধ্যে দিয়ে মানসিক যন্ত্রণা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা তিনি করছেন। তিনি এমন রোগী দেখেছেন যারা শ্বাস নিতে পারছেন না, যাদের দম আটকে যাচ্ছে- "এটা চোখে দেখা খুবই কষ্টের।" বিছানা নেই হাসপাতালগুলোতে এত মানুষ ভর্তি হচ্ছে যে হাসপাতালগুলোতে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের বিছানা দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। সব বিছানা রোগীতে ভর্তি। আমাদের হাসপাতালে আইসিইউতে বিছানা ছিল ৩৪, এখন ৬০। ১৭৫ জন নার্স দিবারাত্র শিফটে ডিউটি করছে। "সাধারণ সময়ে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে প্রতি রোগীর জন্য একজন করে নার্স দায়িত্বে থাকে। এখন একজন নার্স তিনজন রোগীকে দেখছে। অবস্থা আরও খারাপ হলে একজন নার্সকে ছয়জন করে রোগীর দেখভাল করতে হবে।" তার টিমের কয়েকজন নার্সের উপসর্গ ধরা পড়েছে। তারা স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছে। হাসপাতাল অন্য নার্সদের দ্রুত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যাতে তারা প্রয়োজনে হাল ধরতে পারে । "শিফট শুরু করার আগে আমরা সবাই পরস্পরের হাত ধরে বলি 'নিরাপদে থেকো'। আমরা অন্যদের চোখে চোখে রাখি।আমরা খেয়াল রাখি সবাই গ্লাভস, মাস্ক এবং ঠিকমত পিপিই পরছে কি না," নিত্তলা বলেন। নিত্তলা বলছেন শিফট শুরুর সময় সবাই আমরা হাত ধরাধরি করে বলি 'নিরাপদে থেকো'। ভেন্টিলেটার, পাম্প, অক্সিজেন সিলিন্ডার অনেক ওষুধ সবকিছুরই অভাব এখন। তবে তার হাসপাতালে পুরো টিমের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই আছে। "প্রতিদিন আইসিইউ-তে একজন করে মারা যাচ্ছে। মহামারির আগের চেয়ে এ সংখ্যা অনেক বেশি," জানালেন নিত্তলা। নার্স টিমের প্রধান হওয়ার কারণে তিনি অনেক সময় তার ভয় চেপে রাখেন। "রাতের বেলা আতঙ্ক আমায় গ্রাস করে। আমি ঘুমতে পারি না। খালি মনে হয় আমি ভাইরাস আক্রান্ত হবো। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি । সবাই ভয়ে আছে।" গত বছর তার যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল। অনেক দিন কাজে যেতে পারেননি। তিনি জানেন তার ফুসফুসের জোর কম। "সবাই বলছে তুমি কাজে যেও না। কিন্তু এখন মহামারি চলছে। সব ভাবনা সরিয়ে রেখে কাজ করছি।" "প্রত্যেকদিন শিফট শেষে আমার পরিচর্যায় থেকে যারা মারা গেলেন তাদের কথা ভাবি। কিন্তু চেষ্টা করি হাসপাতালের বাইরে পা রাখার পর সব চিন্তা, যতটা পারি মাথা থেকে সরিয়ে দিতে।"
করোনাভাইরাস: রোগী মারা যাবার আগের মুহূর্তে রোগী ও পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন যে নার্স
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
তৃণমূল এমপি নুসরাত জাহান রুহি জৈন বিয়ের পর পার্লামেন্টে সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরে এসে তিনি যেভাবে শপথ নিয়েছেন, তাকে ইসলাম-বিরোধী বলে রায় দিয়ে ধর্মীয় নেতারা তার বিয়েকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। নুসরাত নিজে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে দাবি করেছেন, জাত-পাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে তিনি 'সবার জন্য যে ভারত' তারই প্রতিনিধি এবং ধর্মবিশ্বাসে এখনও মুসলিম। তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিজেপিও এই বিতর্কে নুসরাতের পাশেই দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। পার্লামেন্টে শপথ নিচ্ছেন নুসরাত গত ২৫শে জুন ভারতের সংসদে তৃণমূলের নবীন এমপি ও সদ্যবিবাহিত নুসরাত জাহান রুহি জৈন শপথবাক্য পাঠ করার পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রথম কারণ, শপথ পরার সময় তার মাথায় ছিল সিঁদুর ও হাতে চূড়া, যা বিবাহিত হিন্দু রমণীর প্রতীক বলে ধরা হয়। আর দ্বিতীয়ত তিনি শপথ শেষ করেন 'বন্দে মাতরম' বলে, যে স্লোগানকে অনেকেই ইসলাম বিরোধী বলে মনে করেন। এর পরই দেওবন্দ-অনুসারী সাহারানপুরের মাদ্রাসা জামিয়া শৈখুল হিন্দের মুফতি আসাদ কাসমি ঘোষণা করেন, ভিন্ন ধর্মের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে ইসলাম মেনে নিতে পারে না। ফতেহপুরী শাহী মসজিদের ইমাম মুফতি মুকাররম আহমেদ তিনি বলেন, "একজন মুসলিম কখনওই ভিন্ন ধর্মের কারও সাথে বিয়ে করতে পারেন না, ইসলাম তার অনুমতি দেয় না।" "তা ছাড়া তিনি যেভাবে বন্দে মাতরম বলেছেন তার বিরুদ্ধেও আমাদের ধর্মীয় নেতারা বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন, কারণ এর দ্যোতনা ইসলামী বিশ্বাসের পরিপন্থী।" দিল্লির ফতেহপুরী শাহী মসজিদের ইমাম মুফতি মুকাররম আহমেদও বিবিসিকে বলছিলেন, "সবাই জানেন মুসলিম রমণীরা কখনও সিঁদুরও দেন না, মঙ্গলসূত্রও পরেন না।" "কাজেই তিনি যা করেছেন, তা ইসলামের বিরুদ্ধে গিয়েই করেছেন।" এই বিতর্কের পটভূমিতে নুসরাত নিজে শনিবার বেশি রাতে টুইট করেন, তিনি নিজেকে 'ইনক্লুসিভ ইন্ডিয়া' বা সবার জন্য যে ভারতবর্ষ, তার প্রতিনিধি বলেই মনে করেন। আরো পড়ুন: 'ইমান অটুট রাখতে' বলিউড ছাড়ছেন জায়রা ওয়াসিম কেন বৃষ্টির দৃশ্য রাখতে চাইছেন না পরিচালকরা? বেদের মেয়ে জোৎস্নার নায়িকা ভারতীয় না বাংলাদেশী একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? নুসরাতের সেই টুইট সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করলেও ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসে তিনি নিজেকে একজন মুসলিম বলেও পরিচয় দেন। তিনি কী পরলেন বা না-পরলেন তা নিয়ে কারও মন্তব্য করা সাজে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন। দিনকয়েক আগে পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি অনেকটা একই সুরে বলেছিলেন, তিনি লুকিয়ে বিয়ে করেননি, সামাজিকভাবেই বিয়ে করেছেন। তবে বিয়ের পরেও তিনি নিজের ধর্ম অপরিবর্তিত রেখেছেন, নুসরাত এই দাবি করলেও স্পষ্টতই কোনও কোনও মওলানা তার স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাধ্বী প্রাচী-সহ ক্ষমতাসীন বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রীই। ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে নুসরাত বিয়ে করেছেন দিনকয়েক আগেই দলের সিনিয়র নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী যেমন বিবিসিকে বলছিলেন, "তিনি শপথের সময় নুসরাত জাহান রুহি জৈন নামেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন।" "এখন ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোন ধর্মাচরণ করবেন, সেটা তো তার সাংবিধানিক অধিকার।" "সেই হিসেবে ওনার যেটা ভাল মনে হয়েছে, উনি সেটাই করেছেন।" "আর যারা ফতোয়া দিচ্ছেন তারা ভুলে যাচ্ছেন যে এটা ভারতবর্ষ, পাকিস্তান নয়। এখানে ওসব ফতোয়া দিয়ে কোনও লাভ হবে না", বলছেন মিস চৌধুরী। বিজেপির আর এক এমপি ও অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলিও নুসরাতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বন্ড০০৭ এর মতো কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে কিভাবে উত্তর কোরিয়ার ভেতরে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের বাড়লো গ্যাসের দাম, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা বরগুনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো একজন গ্রেপ্তার বিজেপি পার্লামেন্টারিয়ান রূপা গাঙ্গুলি তিনি মন্তব্য করেছেন, "আজকের নিউ ইন্ডিয়া বা নতুন ভারতবর্ষে শুধু দুটোই জাত - একদল প্রগতিশীল, আর অন্যরা শুধু পেছনের দিকে হাঁটছেন।" যারা নুসরাতের সমালোচনা করছেন সেই দ্বিতীয় জাতটা দ্রুতই কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই বিতর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়েই নুসরাতের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আর এক নবীন এমপি, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু তৃণমূলের আর কোনও সিনিয়র নেতাকেই এই ইস্যুতে এখনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি - যে দলের প্রধান মমতা ব্যানার্জি দিনকয়েক আগে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছিলেন মুসলিম তোষণের অভিযোগ তিনি পরোয়া করেন না।
সিঁদুর ও বন্দে মাতরমের জেরে ফতোয়ার মুখে অভিনেত্রী থেকে এমপি হওয়া নুসরাত জাহান
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
লকডাউনের সময় টুইটার বাড়ি থেকে কাজ করার যে ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেটি কার্যকর হওয়ায় কোম্পানি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে কোম্পানি এটিও জানিয়েছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যখন অফিস খোলা হবে, তখন চাইলে কর্মীরা অফিসেও আসতে পারবেন। এর আগে, এই মাসের শুরুর দিকে গুগল ও ফেসবুক জানিয়েছে, বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। বাড়ি থেকে কাজ করার ঘোষণায় টুইটার বলেছে: ''গত কয়েকমাসে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আমরা এটা (বাড়ি থেকে কাজ) করতে পারছি। সুতরাং আমাদের কর্মীরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার মতো দায়িত্ব ও পরিস্থিতিতে থাকে এবং তারা যদি বাড়িতে বসেই আজীবন কাজ করতে চায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।'' টুইটার তাদের ঘোষণায় আরো বলেছেন, যেসব কর্মীরা অফিসে আসতে আগ্রহী, টুইটার তাদের সেই ইচ্ছাকেও স্বাগত জানাবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্বজুড়ে সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক এই কোম্পানির চার হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। আরো পড়ুন: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় ভাইরাল ভুয়া ভিডিওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সোশাল মিডিয়া গত মার্চ মাস থেকেই এই কোম্পানিটি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের আগে তাদের অফিস চালু করার সম্ভাবনা নেই। টুইটারের ঘোষণাকে ''যুগান্তকারী'' বলে বর্ণনা করেছেন একজন ডিজিটাল উদ্ভাবন বিশেষজ্ঞ শ্রী শ্রীনিবাসন। স্টোকি ব্রুক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ জার্নালিজমের এই ভিজিটিং প্রফেসর বলছেন, ''অনেকে হয়তো টুইটারের মতো এত গভীরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেনি, কিন্তু কর্ম পরিবেশ কীভাবে আরামদায়ক করে তোলা যায়, তা নিয়ে সিলিকন ভ্যালির এই কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।'' ''একটা ধারণা আছে যে, বাড়ি থেকে কাজ করার মানে হলে কাজে ফাঁকি দেয়া এবং অফিসে চেহারা দেখানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কর্মীরা এখন প্রমাণ করছেন যে, তারা বাড়ি থেকে ভালো কাজ করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। অনেকেই আমাকে বলেছেন, বাড়িতে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।'' তিনি বলছেন। বিশ্ব জুড়েই কোম্পানিগুলো এখন উপায় বের করার চেষ্টা করছে, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আস্তে আস্তে অফিসগুলো পুনরায় চালু করা যায়। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
করোনাভাইরাস: বাড়ি থেকে 'আজীবন' কাজ করতে পারবেন টুইটারের কর্মীরা
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
ওজনের ওপর নজর রাখার জন্যে ডাক্তাররা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক গবেষণা বলছে, মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বেশি হলে সেটা মানুষের আয়ু থেকে চার বছর কেড়ে নিতে পারে। ব্রিটেনে চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটে এই অত্যন্ত বৃহৎ পরিসরে করা এই গবেষণার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটেনে প্রায় ২০ লাখ মানুষের ওপর এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, মানুষের ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে, যাদের উচ্চতা, বয়স এবং ওজনের অনুপাত বা বডি ম্যাস ইনডেক্স বিএমআই ভাল থাকে, অসুখে বিসুখে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকে কম। কিন্তু এই বিএমআই যাদের খারাপ হয়, তাদের জীবনের আয়ুও তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই বিএমআই হিসেব করা হয় কোন একজন মানুষের ওজনকে তার উচ্চতার বর্গ দিয়ে। ভালো স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয় এরকম বিএমআই হচ্ছে ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৫। বেশিরভাগ চিকিৎসকই বলেন, কেউ মোটা কি মোটা নয় সেটা বোঝার জন্যে এটাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তাদের মতে এটা নির্ভুল এবং সহজেই মাপা যায়। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন মানুষের যতোদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বলে আশা করা হয়, অতিরিক্ত ওজনের একজন নারী ও পুরুষের সেই আয়ু সাড়ে তিন থেকে ৪ দশমিক ২ বছর পর্যন্ত কম হয়ে থাকে। ডাক্তাররা বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ঠিক জন্যে একটি ভাল উপায়। আরো পড়তে পারেন: সংলাপে কোন ইস্যুতে ছাড় দিতে পারে বিএনপি? মোবাইল কেসের ছবি থেকে জানা গেল যেভাবে মিয়ানমারের আশ্বাসে কতোটা সন্তুষ্ট বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা অর্থাৎ যাদের বিএমআই ঠিক নেই তাদের আয়ু কম হয়ে থাকে। কম ওজনের মানুষের (পুরুষ) আয়ু ৪ দশমিক ৩ বছর আর বেশি ওজনের মানুষের (নারী) আয়ু ৪ দশমিক ৫ বছর কম হয়। ক্যান্সার থেকে শুরু করে বেশিরভাগ রোগে মৃত্যুর কারণের সাথে এই বিএমআই-এর সংযোগ রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। তবে গবেষক দলের একজন ড. কৃষ্ণান বাশকারান বলেছেন, এর মধ্যে কিছু কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেখা গেছে তাদের বিএমআই ২১ এর নিচে। এথেকে বোঝা যায় ওজন কম হওয়া অসুস্থতার বড় একটি লক্ষণ।" অনেক বিশেষজ্ঞ অবশ্যই বিএমআই-এর সাহায্যে মানুষের স্বাস্থ্য নির্ধারণ করার উপায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে বেশিরভাগ ডাক্তারই এই বিএমআই পদ্ধতির পক্ষে। তারা বলছেন, মানুষের ওজন বেশি হলেও বিএমআই কমিয়ে রেখে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।
মানুষের স্বাস্থ্য: ওজন কম বেশি হলে আয়ুও কমে যেতে পারে
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ১১,৫১০ জনের মৃত্যু হল। আর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন মোট সাত লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,২৪৫ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬,৮৪,৬৭১ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫,১১৭টি। গত বছর ৮ই মার্চ স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আর কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর কথা প্রথম ঘোষণা করা হয় সে বছরের ১৮ই মার্চ। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক৫১।। আর যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৩ জন।
করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬০ জনের, নতুন শনাক্ত হলো আরও ১৪৫২ জন
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
পাবলিক টয়লেট চেক করার জন্য একটা দল কাজ করছে গত বছরে ছয় হাজারের বেশি ঘটনা রয়েছে যেগুলো 'স্পাইক্যাম পর্ন' নামে পাওয়া গেছে। ভিডিওগুলো অনলাইনে আপলোড করার সময় অবশ্যই ঐ ব্যক্তির কোন অনুমতি নেয়া হয় না। সেসব ভিডিও ছেড়ে দেয়া হয় কোনো না কোনো পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বলছেন, সোলে বাড়তে থাকা এধরনের অপরাধ যদি অচিরেই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তবে তা অন্যান্য দেশেও একইভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তখন সেটি প্রতিকার হবে খুবই কঠিন। এই বছরের শুরুর দিকে হাজার হাজার নারী এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। তারা গোপন ক্যামেরা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সেই বিক্ষোভে লিখেছিলেন "আমার জীবন তোমার কাছে পর্ন না"। দেশটির অ্যাকটিভিস্টরা বলছেন, মেয়েরা সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন, কথন তাদের অনুমতি ছাড়া‌ই ছবি তোলা হবে অথবা ভিডিও করা হবে। গোপন ক্যামেরা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সেই বিক্ষোভে নারীরা লিখেছিলেন "আমার জীবন তোমার কাছে পর্ণ না"। স্পাইক্যাম পর্নের শিকার ৮০% নারী। সোলের পাবলিক টয়লেটগুলো এতদিন মাসে একবার চেক করা হত সেখানে কোন গোপন ক্যামেরা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। কিন্তু এখন থেকে টয়লেটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি প্রতিদিন এই কাজটি করবেন। প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির একটি হল কোরিয়া, একইসাথে ডিজিটাল সংযুক্তিতেও এগিয়ে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখানে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করই রয়েছে স্মার্টফোন এবং অন্তত ৯৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই এ ধরনের অপরাধীদের সনাক্ত করা বা ধরাকে কঠিন করে তুলেছে। ২০১৫ সালে 'ডিজিটাল সেক্স ক্রাইম আউট' নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয় যার নাম হা ইনা, আর এটি তৈরি করেন পার্ক সো-ইয়ুন। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেখানে মেয়েদের খুবই সতর্ক থাকতে হয় তাদের মূল লক্ষ্য ছিল কুখ্যাত 'সোরানেট' নামের একটি ওয়েব সাইটকে ধ্বংস করা। এই সাইটে নারীদের কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই তাদের হাজার হাজার ভিডিও আপলোড এবং শেয়ার করা হতো, আর যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল লক্ষ লক্ষ। সেখানে গোপন ক্যামেরার ভিডিওগুলোর বেশিরভাগই ছিল পোশাক বদলানোর রুম বা টয়লেট থেকে ধারণ করা, অথবা কোনো সাবেক প্রেমিকের তোলা - ভিডিও যা প্রতিশোধ হিসেবে ঐ ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হতো। সেসব ঘটনার শিকার অনেক নারীকে এমনকি আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নিতে হয়েছে। এসব ভিডিও কোনো একটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেবার পরেও অন্য কোনো পর্ন সাইটে আবার হয়তো আপলোড করা হতো কিংবা তা শেয়ার করার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, কারা এই কাজটা করছে সেটা ধরা বেশ কঠিন কারণ তারা ক্যামেরা বসানো ১৫ মিনিটের মধ্যে সেটা আবার সরিয়ে ফেলতে পারে। গত বছর স্পাই ক্যামেরা লাগানোর সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচ হাজার চার'শ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে ২% এর কম জেলখানায় রয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে এই অপরাধের শাস্তি এক বছরের জেল কিংবা ১০ মিলিয়ন স্থানীয় মুদ্রা, যার পরিমাণ হলো ৮,৯০০ মার্কিন ডলার। তবে শাস্তির মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রয়োজন নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলে প্রতিদিন গোপন ক্যামেরা ধরার অভিযান চলছে
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে একজন আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ জেস ফিনিক্স বলছেন, ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিটি এখন একটি নতুন ও বিধ্বংসী যুগে প্রবেশ করেছে। নিচের ছবিগুলোর মাধ্যমে তিনি এই আগ্নেয়গিরিটির বিবর্তনের একটি ইতিহাস তুলে ধরেছেন। উপরে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিটির যে স্কেচ দেখা যাচ্ছে সেটি আঁকা হয়েছে ১৮৮৩ সালের বিধ্বংসী এক অগ্ন্যুৎপাতের আগে। এর নাম আনাক ক্রাকাতোয়া যার অর্থ 'ক্রাকাতোয়ার সন্তান।' এটি গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এই আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছেন। ক্রাকাতোয়া হচ্ছে কোণাকৃতির একটি আগ্নেয়গিরি। এটিকে বলা হয় স্ট্র্যাটোভলকানো। ১৮৮৩ সালের অগ্ন্যুৎপাতের আগে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিটির আঁকা একটি ছবি। আরো পড়তে পারেন: প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ইন্দোনেশিয়ার সুনামি ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন সুনামি হয় কেন? অগ্ন্যুৎপাতের কারণে যে লাভা নির্গত হয় তা স্তরে স্তরে জমা হয়ে এটি তৈরি হয়েছে। এসব স্তর রয়েছে অক্ষত অবস্থায় এবং আকারেও এগুলো বিশাল। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, আগ্নেয়গিরিটির পাদদেশে সমুদ্র এবং সেখানে ভাসছে মাছ ধরার নৌকা। আগ্নেয়গিরিটির মুখ দিয়ে সামান্য ধোঁয়ার উদগীরণ দেখা গেলেও, ছবিটি দেখে বোঝা যায় এটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কোন উদ্বেগ নেই। তিনি বলছেন, যেসব আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে না, সেগুলো থেকেও এধরনের ধোঁয়ার উদগীরণকে স্বাভাবিক ঘটনা বলা চলে। আগ্নেয়গিরিটির ভেতরে যে পানি আছে, সেটা উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পে পরিণত হচ্ছে এবং পরে সেটা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তোলা আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির ছবি। আরো পড়তে পারেন: শিশুদের জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা কী? খ্রীস্টানদের যীশুকে কিভাবে দেখেন মুসলিমরা? বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বেচবে নেপাল, ভারত দেবে গ্রিড মারা পড়ার আগে বাঘটির শেষ ছবিগুলো ওপরের এই ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। এখানে দেখা যাচ্ছে আনাক ক্রাকাতোয়া থেকে ছোটখাটো অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এই উদগীরণের মাত্রা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সূচকে শূন্য অথবা এক হিসেবে ধরা হয়। একটি আগ্নেয়গিরি থেকে যে পরিমাণে পদার্থ নির্গত হয় - তার মাত্রার উপর ভিত্তি করে এই সূচক নির্ধারণ করা হয়। খুব সাধারণ অগ্ন্যুৎপাতের বেলায় এর মাত্রা থাকে শূন্য অথবা এক। এর উদাহরণ হাইওয়াইন আগ্নেয়গিরি। আর মাত্রা আট হলে তাকে ধরা হয় বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাত। এর উদাহরণ হিসেবে প্রায় সাড়ে ছ'লাখ বছর আগে ইয়েলোস্টোন আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানী জেস ফিনিস্ক বলছেন, শূন্য থেকে এক মাত্রার অগ্ন্যুৎপাত প্রায়শই ঘটতে পারে। হয়তো দেখা গেল প্রতিদিনই সেখান থেকে উদগীরণ হচ্ছে, কিন্তু বড় ধরনের কোন বিস্ফোরণ ঘটছে না - এরকমও হতে পারে। এই ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। উপরের এই ছবিটিও তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি আনাক ক্রাকাতোয়ার শীর্ষে তার জ্বালামুখ দিয়ে উজ্জ্বল এবং উত্তপ্ত লাভা নির্গত হচ্ছে। ছবির তীব্র উজ্জ্বলতা দেখে বোঝা যায় নির্গত লাভা অত্যন্ত গরম। তারপর এগুলো যখন ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসবে তখন এসব ধীরে ধীরে কালো রঙে পরিণত হবে। একে বলে 'ম্যাগমা' যা ঠাণ্ডা হয়ে কালো কালো কয়লার অঙ্গারে পরিণত হতে পারে। এগুলো লাভার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ যার নাম লাপিল্লি। আর এর বড় বড় টুকরোকে বলা হয় লাভা বোম্ব। এর সবগুলোই মানুষের জন্যে বিপদজনক। লাভা বোম্ব আগ্নেয়গিরির চূড়া থেকে কয়েকশ মিটার দূর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে তোলা আনাক ক্রাকাতোয়া। আকাশ থেকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে। এতে আগ্নেয়গিরিটিকে মনে হচ্ছে ছোট্ট একটি দ্বীপের মতো এবং আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থ দিয়ে দ্বীপটি ঢাকা পড়ে গেছে। অন্য তিনটি দ্বীপের মোটামুটি মাঝখানে এই আনাক ক্রাকাতোয়া। এগুলোকে এই আগ্নেয়গিরিটির সীমান্তও বলা যেতে পারে। ১৮৮৩ সালের অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ক্রাকাতোয়ার কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছিল। ভেঙে পড়া কাঠামো থেকে সেখানে তখন তৈরি হয় আনাক ক্রাকাতোয়া। ১৯৩০ সালে সমুদ্রের পানির স্তর ফুঁড়ে এটি বেরিয়ে এসেছে। এই ছবিতেও সামান্য পরিমাণে ধোঁয়ার উদগীরণ দেখা যাচ্ছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তোলা আনাক ক্রাকাতোয়ার ছবি। উপরের এই ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যা আগের ছবিগুলো থেকে একেবারেই আলাদা। এটি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সেখানে একেবারে ভিন্ন রকমের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বাদামী রঙের পদার্থ নির্গত হচ্ছে এবং এর ফলে তিনটি সীমান্ত দ্বীপের একটি ঢাকা পড়ে গেছে। এখানে তাপের সঞ্চালনও দেখা যাচ্ছে। এরকম উদগীরণের ফলে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়। মানব স্বাস্থ্যের জন্যেও এটা ক্ষতিকর। কারণ এখানে পাথরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা থাকে। নিশ্বাসের সাথে এসব কণা মানব দেহে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাথরের এসব কণার ওজনের কারণে বাড়িঘরও ধসে পড়তে পারে। ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বরে তোলা ছবি। এই ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বর। আনাক ক্রাকাতোয়ার এখনকার ছবির সাথে এর বড় ধরনের ভিন্নতা রয়েছে। বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এর কোণ ঢাকা পড়ে গেছে। এখানে নির্গত পদার্থগুলোর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত গরম ম্যাগমা, গ্যাস। প্রচণ্ড তাপের কারণে পানি বাষ্প হয়ে ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আনাক ক্রাকাতোয়া যেহেতু পানি দিয়ে পরিবেষ্টিত, সেকারণে এই আগ্নেয়গিরির চারপাশের পানি নির্গত পদার্থের সংস্পর্শে আসার ফলে সেখানে প্রচুর বাষ্প তৈরি হয়। এবং দেখে মনে হয় যে সেখানে ভয়াবহ রকমের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বরে তোলা ছবি। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বজ্রপাতেরও সৃষ্টি হতে পারে। ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বরে তোলা আনাক ক্রাকাতোয়ার এই ছবিটিতেও এরকম বজ্রপাত হতে দেখা যাচ্ছে। পাথরের কণার মধ্যে সংঘর্ষ, আগ্নেয়গিরির ছাই এবং পানির কারণে সেখানে বিদ্যুৎ তৈরি হতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতের পরিণতি অনেক রকমের হতে পারে। কখনো সেটা সীমিত থাকে স্থানীয় পর্যায়ে, কখনো সেটা আঞ্চলিক পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ে আবার কখনও সেটা হয়ে যায় সারা বিশ্বের খবর। আনাক ক্রাকাোয়াতে যে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটলো তার ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিধ্বংসী সুনামির। এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, আনাক ক্রাকাতোয়ার কিছু অংশ ভেঙে পড়লে জাভা দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাথর ছিটকে পড়ার কারণে এই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে।
যে আগ্নেয়গিরির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সুনামি সেই আনাক ক্রাকাতোয়ার বিবর্তনের ছবি ও ইতিহাস
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শো'তে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন টেরিজা মে। এতে মনে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-র সময় শেষ হয়ে এসেছে। তার উপস্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি এর আগে দু'বার পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে হেরে গেছে, এবং তিনি তৃতীয়বারের মতো এটিকে পার্লামেন্ট এনে আবার পাস করানোর চেষ্টা করবেন - এ জল্পনাকে কেন্দ্র করে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়ছে। এমন কি তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্যরাও এখন তার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আপত্তি গোপন করতে পারছেন না। অবশ্য টেরেজা মে যদি এই বিরোধিতাকে আমলে না নেন এবং তার পদ আঁকড়ে থাকেন তাহলে এই অসন্তুষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা কি করবেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু এমপি বলছেন, তারা হয়তো অনিচ্ছাসত্ত্বেও টেরেজা মে'র ব্রেক্সিট চুক্তিটি তৃতীয়বার ভোটে উঠলে তাকে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু তার শর্ত হবে এই যে, ইউ-র সাথে আগামী আলোচনায় তিনি আর ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। লন্ডনে ব্রেক্সিট-বিরোধী শোভাযাত্রা। আরো পড়তে পারেন: লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি কতটা সম্ভব? সিলেটে বাসের চাকায় ছাত্র পিষ্ট হবার আগের মুহুর্ত গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ সংবাদপত্রগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মিসেস মে'র ওপর তীব্র চাপ তৈরি হচ্ছে এবং মন্ত্রিসভা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। অবশ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলছেন, মিসেস মে'কে সরিয়ে দেয়াটা ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা ভাঙতে পারবে না। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এক গভীর বিভেদ তৈরি হয়েছে, এবং কিভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তাই টেরেজা মে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েও দেন, তা হলেও যুক্তরাজ্যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না।
ব্রেক্সিট: দলের ভেতর থেকে পদত্যাগের চাপে টেরেজা মে'র 'প্রধানমন্ত্রিত্বের দিন ঘনিয়ে আসছে'
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
এই চিকিৎসক বলেছেন অল্প মাত্রায় গাঁজা শিশুটির বদমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এমন প্রেসক্রিপশন লিখে এখন তার ডাক্তারি নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে। ডাক্তারি লাইসেন্স থাকবে কি থাকবে না সেনিয়ে এখন তাকে লড়াই করতে হচ্ছে। কেন এমন প্রেসক্রিপশন? ২০১২ সালে শিশুটির বাবা ডাঃ উইলিয়াম এইডেলম্যানের কাছে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিশুটি স্কুলে খুব বদমেজাজি আচরণ করছিলো। ডাঃ এইডেলম্যান রোগ নির্ণয় করে বলেন শিশুটির 'বাইপোলার ডিসঅর্ডার' এবং এডিএইচডি রয়েছে। এই দুটিই গুরুতর মানসিক রোগ। ডাঃ এইডেলম্যান তার চিকিৎসায় বলেছেন অল্প মাত্রায় গাঁজা শিশুটির বদমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। আরো পড়ুন: গাঁজা ব্যবহার স্বাস্থ্যকে কতটা প্রভাবিত করে? গাঞ্জাপ্রেনিউর: কানাডায় গাঁজা ব্যবসায়ীদের উত্থান তিন কেজির বদলে এক কেজি গাঁজা, '৯৯৯' ফোন কিন্তু বিপত্তিটা ঘটলো যখন স্কুলের নার্সকে দুপুরের খাবার সময় শিশুটিকে গাঁজা দিয়ে তৈরি বিস্কুট খেতে দেয়ার জন্য বলা হল। শিশুটির বাবাও ছোটবেলায় একই মানসিক সমস্যায় ভুগেছেন। তিনি বলেছেন বড় হওয়ার পর যখন গাঁজা সেবন শুরু করেন তখন অনেক সুস্থির বোধ করেছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী এখন অনেক দেশেই চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা হচ্ছে। গাঁজা সেবন করার পর মানুষজনের প্রতি তার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান তিনি। এই বাবার দাবি তার দুই ছেলের উপরেও গাঁজা একই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। কী হয়েছিল চিকিৎসকের? ডাঃ এইডেলম্যানের চিকিৎসা নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ড বলছে শিশুটির রোগ নির্ণয়ে ভুল করেছেন এই চিকিৎসক। শিশুটিকে গাঁজা দেবার জন্য নয়, তবে ভুল রোগ নির্ণয়ের জন্য তার ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করে বোর্ড। ডাঃ এইডেলম্যান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। তার আইনজীবী বলছেন সাময়িকভাবে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি ঠেকাতে পেরেছেন ডাঃ এইডেলম্যান। এখন নতুন করে শুনানি হবে। ১৯৯৬ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ। এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রেও। বিশ্বব্যাপী এখন অনেক দেশেই চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা হচ্ছে। ডাঃ এইডেলম্যান বলছেন তিনি নিজে অন্তত এক হাজার রোগীকে গাঁজা সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যান্য খবর: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো যেভাবে দুর্নীতির সূচক: বাংলাদেশের 'বিব্রতকর' অবনতি
বদমেজাজি শিশুর চিকিৎসায় গাঁজার বিস্কুট, বিপাকে মার্কিন ডাক্তার
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ভাবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি আসবে যা দিয়ে আপনি অতীত দেখতে পাবেন। এবার কল্পনা করুন এমন এক অরাজক ভবিষ্যতের যেখানে হ্যাকাররা আপনার সেইসব স্মৃতি হাইজ্যাক করে নিয়েছে এবং অর্থ না দিলে তা মুছে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মনে হতে পারে এটি কষ্টকল্পিত কাহিনি, কিন্তু এমন পরিস্থিতি আপনার কল্পনার চেয়েও দ্রুত ঘটে যেতে পারে। মস্তিষ্কটা যদি খুলে দেখা যায় নিউরো টেকনোলজির ক্ষেত্রে অগ্রগতি আমাদের সেই সুযোগের কাছাকাছি এরই মধ্যে নিয়ে গেছে, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্মৃতিশক্তি বা মেমোরি বাড়াতে পারি। আর হয়তো কয়েক দশকের মধ্যেই আমরা স্মৃতিকে নিজের মতো করে সাজাতে বা ব্যাখ্যা করতে অথবা পুনরায় লেখার মতো অবস্থায় যেতে পারবো। মস্তিষ্ক পুন:স্থাপনের জন্যে এই প্রযুক্তির জোরালো ব্যবহার মস্তিষ্কের শল্য চিকিৎসকদের জন্যে হয়তো সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড়লাখ মানুষের ক্ষেত্রে ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন (ডিবিএস) ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিছু সমস্যার মোকাবিলার জন্যে। তার মধ্যে পারকিনসন্স থেকে শুরু করে অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসওর্ডার (ওসিডি) রয়েছে। নিরাময়ের এমন পদ্ধতি ডায়াবেটিস বা স্থুলতা নিয়ন্ত্রণেও ব্যবহার করা হতে পারে। নিউরোটেকনোলজির গবেষণায় অগ্রগতির জন্য মস্তিষ্ক সম্পর্কে ধারণা আরও পরিষ্কার হচ্ছে। বিষন্নতা, স্মৃতিভ্রংশ বা টুরেট সিনড্রোমের মতো বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির নিরাময়ের জন্যে এমন নানা প্রযুক্তির পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আর এসব পদ্ধতিগুলো রয়েছে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে, গবেষকরা অনুসন্ধান করে বের করার চেষ্টা করছেন যে আঘাত বা পীড়নের ফলে যদি স্মৃতিলোপ পায় তবে তা কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়। ইউএস ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি-র (ডিএআরপিএ) একটি প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে সেনাদের আঘাতের ফলে ব্রেন ইনজুরি হলে স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। মেন্টাল সুপারপাওয়ার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জিক্যাল সায়েন্সের নাফিল্ড বিভাগের গবেষক লরি পাইক্রফট ভবিষ্যতের কিছু সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, "আগামী দশ বছরের মধ্যে যদি বাণিজ্যিকভাবে স্মৃতি পুন:স্থাপনের মতো বিষয় ঘটে তবে আমি মোটেও অবাক হব না।" তার হিসেবে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে প্রযুক্তি হয়তো এমন সুবিধা এনে দেবে যাতে করে মস্তিষ্কের সেই সব সংকেত ধারন করা যাবে যা স্মৃতি বা মেমোরি তৈরি করে। আর এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এসে স্মৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও চলে আসবে বলে মনে করেন মি. পাইক্রফট। আরো পড়তে পারেন: শিক্ষা ব্যবস্থায় কোচিং নির্ভরতা কেন এ পর্যায়ে পৌঁছেছে? জামায়াত বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে রাজ্জাকের পদত্যাগ 'আমার প্রজন্মকে উগ্রপন্থী বানিয়েছে সালমান রুশদী' ব্রেইনজ্যাকিং মস্তিষ্কের মাধ্যমে মানুষের আবেগ এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যদি ভুল হাতে পড়ে তবে তার ফলাফল খুবই খারাপ হতে পারে বলে মনে করেন লরি পাইক্রফট। কল্পনা করুন যে, একজন হ্যাকার একজন পার্কিনসন্স রোগীর নিউরোস্টিমুলেটর-এর সূত্র জেনে ফেলেছেন এবং সেটি নিজের মতো করে সাজিয়ে ফেলেছেন। তখন সেই রোগীর চিন্তাশক্তিকে এবং আচরণকে সে প্রভাবিত করতে পারবে কিংবা তাকে পঙ্গুও করে ফেলতে পারবে। একজন হ্যাকার চাইলে ডার্ক ওয়েব-এর মাধ্যমে অর্থ দাবি করে বসতে পারে, আর যদি তা না পায় তবে সব স্মৃতি মুছে ফেলা বা নতুন করে স্মৃতি তৈরির হুমকিও দিতে পারে। ২০১২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক হেডসেট ব্যবহার করা হয় এমন একটি জনপ্রিয় গেমিং থেকে মানুষের ব্রেনওয়েভ পর্যবেক্ষণ করে ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বরের মতো তথ্য বের করে ফেলেছিলেন। আপনার অতীতকে নিয়ন্ত্রণ "ব্রেনজ্যাকিং এবং স্মৃতি পরিবর্তন নিরাপত্তার জন্যে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে", বলছিলেন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা কোম্পানি ক্যাস্পারস্কির একজন গবেষক দিমিত্রি গ্যালভ। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত ঝুঁকি কী কী হতে পারে তা নিয়ে ক্যাস্পারস্কি এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ ভাবে কাজ করেছিল। ব্রেইন ইমপ্ল্যান্ট ভবিষ্যতে যেভাবে বাড়বে। ''স্মৃতি বাজার: ভবিষ্যতে যেখানে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি আপনার অতীতকে নিয়ন্ত্রণ করবে'' এটি ছিল সেই যৌথ কাজের রিপোর্টের শিরোনাম। যেখানে বলা হয়েছে যে, এটি মোটেও অবাক হবার মতো বিষয় হবে না যে- ভবিষ্যতের কোনো এক নায়ক তার ইতিহাস আবার লেখার চেষ্টা করতে পারে দেশটির জনগণের স্মৃতিতে হস্তক্ষেপ ক'রে। অনুনমোদিত প্রবেশাধিকার ইন্টারনেটে সংযুক্ত এমন মেডিকেল ডিভাইসকে হ্যাক করা মোটেও গল্পে উল্লেখিত বিষয় নয়। ২০১৭ সালের ঘটনা, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সাইবার নিরাপত্তার গোপনীয়তা জনিত ঝুঁকি বিবেচনা করে ৪ লাখ ৬৫ হাজার পেসমেকার পুনরায় ফিরিয়ে আনে। দেশটির ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জানায়, অসাধু ব্যক্তিরা চাইলে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রের গতি পরিবর্তন বা পেসমেকারের ব্যাটারি নিয়ন্ত্রণ করে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারতো। যদিও কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি সেবার, তবু এফডিএ বলছে যে, মেডিকেল ডিভাইসগুলো ক্রমাগত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে পড়ছে হাসপাতালের তথ্যভান্ডার বা অন্য মেডিকেল ডিভাইস বা স্মার্টফোনের সাথে। আর এরইসাথে বাড়ছে সাইবার অপরাধ জনিত ঝুঁকি। মস্তিষ্কের সঙ্গে কমপিউটারের সংযোগ নিয়ে এখন নিউরোটেকনোলজি খাতে প্রচুর গবেষণা চলছে। অনেক চিকিৎসাক্ষেত্রের জন্যেই এই সমস্যা রয়েছে এবং ক্যাস্পারস্কি মনে করেন যে, ভবিষ্যতে আরো অনেক ডিভাইসই এমনভাবে সংযুক্ত হবে এবং দূরবর্তী যন্ত্রের সাথে সেগুলো নিয়ন্ত্রণও করা যাবে। খুব জরুরি অবস্থাতেই কেবল ডাক্তারকে ডাকা হবে। সাইবার প্রতিরক্ষা সৌভাগ্যক্রমে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়ায় মেডিকেল ডিভাইসগুলির নকশা এবং পরিকল্পনা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে তা ঝুঁকির পরিমাণ কমাতে পারে। তবে মি. গ্যালভের মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রোগী এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলা উচিৎ যাতে করে তারা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে। যেমন হতে পারে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্ধারন। তবে বাস্তব সমস্যা হলো একজন চিকিৎসককে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হতে বলাও সম্ভব নয়। মি. পাইক্রফটের মতে ভবিষ্যতে মস্তিষ্ক পুন:স্থাপনের ক্ষেত্র আরো জটিল এবং ঝুঁকির পরিধি আরো বিস্তৃত হতে পারে। যদি না এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। প্রথম প্রজন্মের প্রতিস্থাপনের সমাধানগুলি বিকশিত না হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিস্থাপনগুলো অনিরাপদ থেকে যাবে এবং আক্রমণকারীরা সেই সুবিধা নেবে বলে গবেষক পাইক্রাফটের মত।
হ্যাকাররা ভবিষ্যতে আপনার স্মৃতি চুরি করতে পারবে। এটা আপনি কীভাবে ঠেকাবেন?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে কিভাবে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমে এসেছে তার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। নাসার মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, চলতি বছর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্তৃপক্ষ চীনের কারখানাগুলোর কার্যক্রম ব্যাপকহারে বন্ধ রাখার পর এই খবর আসলো। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীনে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও বেশিরভাগ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনে, যেখানে গত বছরের শেষের দিকে প্রাদুর্ভাবটির উৎপত্তি হয়েছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড গ্যাস মূলত মোটর যানবাহন এবং শিল্প কারখানা থেকে নির্গত হয়। গ্যাসটির মাত্রা কমে আসার এই প্রবণতা প্রথম দেখা যায় প্রাদুর্ভাব শুরুর স্থান উহান শহরে। কিন্তু পরে পুরো দেশে একই চিত্র উঠে আসে। ২০১৯ সালের প্রথম দুই মাসের চিত্রের সাথে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের চিত্র তুলনা করেছে নাসা। আরো পড়ুন: উহান শহরে দূষণের মাত্রা কিভাবে কমে এসেছে তা আগের বছর একই সময়ের সাথে তুলনা করে চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। মহাকাশ সংস্থাটি লক্ষ্য করেছে যে, বায়ু দূষণের মাত্রা কমে আসার এই চিত্র চীনে পরিবহন চলাচল ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টির সাথে মিলে যাচ্ছে। এছাড়া ওই সময়ে লাখ লাখ মানুষ কোয়ারেন্টিনে গিয়েছিল। "প্রথমবারের মতো আমি দেখছি যে, কোন একটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতো বিশাল এলাকা জুড়ে দূষণ এমন নাটকীয়ভাবে কমে গেছে," এক বিবৃতিতে একথা বলেন ফেই লিউ যিনি নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের বাতাসের মান নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন যে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও তিনি নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড কমে যাওয়ার চিত্র দেখেছিলেন কিন্তু সেটি আরো অনেক ধীর গতিতে হয়েছিল। নাসা জানায়, অতীতেও চীনের চন্দ্রবর্ষ উদযাপনের সময়ে অর্থাৎ জানুয়ারির শেষ এবং ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে দূষণের মাত্রা কমে আসার নজীর রয়েছে। কিন্তু উদযাপন শেষ হওয়ার পর এই মাত্রা আবারো বাড়তে থাকে। "গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কমে যাওয়ার এই মাত্রা বেশ চোখে পড়ার মতো এবং এটা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী ছিল," মিস লিউ বলেন। "আমি অবাক হইনি কারণ অনেক শহর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।"
করোনাভাইরাস: নাসার ইমেজে চীনে পরিবেশ দূষণ কমে যাওয়ার চিত্র
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
নাসার মহাকাশযান থেকে পাঠানো নতুন ছবিতে ভারতের চন্দ্রযান অবতরণের সম্ভাব্য স্থান দেখানো হয়েছে। নাসার একটি মহাকাশযান থেকে পাওয়া ছবিতে ভারতের চন্দ্রযান বিক্রমের যেখানে অবতরণ করার কথা ছিল সেই ল্যান্ডিং সাইটটি দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ছবিগুলো নেয়া হয়েছে বিকেলবেলা, যার কারণে সেগুলো তেমন স্পষ্ট নয়। ভারত সফলভাবে চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হতে পারতো। মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ২০শে অগাস্ট এবং ৭ই সেপ্টেম্বর ভারতের সময় সন্ধ্যা নাগাদ চাঁদের বুকে অবতরণ করার কথা ছিল। এর একমাস আগে সেটি পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। বিক্রম নামের এই অবতরণকারী যানটি চাঁদে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল। শুক্রবার নাসা মহাকাশযানটির অবতরণের লক্ষ্যস্থলটির ছবি টুইট করে। নাসা বলছে যে, অবতরণের লক্ষ্যস্থলটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে প্রয় ৬০০ কিলোমিটার বা ৩৭০ মাইল দূরে। যেটি আপাতত একটি প্রাচীন অংশ বলে মনে হয়। নাসা বলছে, ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের কক্ষপথের ওপর দিয়ে তাদের মহাকাশযানটি যাবার সময় উচ্চ রেজলিউশনের ছবি তুলে রাখে। তবে মহাকাশযানের চিত্র তুলতে পারেনি সেটি। নাসার ব্যাখ্যা, ছবি তোলার সময়টি ছিল সন্ধ্যা। আর প্রাচীন সেই ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ অংশই ছায়ায় আচ্ছন্ন ছিল। ধারনা করা হচ্ছে 'বিক্রম' সেই দীর্ঘ ছায়ার মধ্যে রয়েছে। অক্টোবরে আবারো একই পথে নাসার স্যাটেলাইটটি সেখান দিয়ে যাবে এবং যাবার সময় নতুনভাবে ছবি তুলে ল্যান্ডারটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে। ২০০৮ সালে ভারত চন্দ্রযান- ১ এর রাডারের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের সন্ধানে বিস্তৃত অনুসন্ধান চালিয়েছিল। কী ছিল এই মিশনে? চন্দ্রযান- ২ ছিল ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো পরিচালিত সবচেয়ে জটিল কোনো মিশন। ইসরো প্রধান কে শিভান এটি উৎক্ষেপণের পর জুলাই মাসে বলেন, "এটি একটি ঐতিহাসিক যাত্রার কেবল শুরু।" ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করার জন্যে ২৭ কেজি ওজনের একটি মুন রোভার বহন করছিল। রোভারটির নামকরণ সংস্কৃত ভাষায় করা হয় 'প্রজ্ঞান'। এটির ক্ষমতা ছিল ১৪ দিনে ল্যান্ডার থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে পরিভ্রমণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠানো। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে ভূমিকম্প, পানির উপস্থিতি ও অন্যান্য খনিজের সন্ধান। ভারতের চন্দ্র অভিযানের ঘটনা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। কেন মিশনটি তাৎপর্যপূর্ণ? বিজ্ঞান লেখক পল্লব বাগলার মতে, চাঁদে সফল অবতরণে এর আগে মাত্র তিনটি দেশের কৃতিত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে সফল হলে এটি হতো ইসরোর জন্যে প্রযুক্তিগত প্রভূত অর্জন। তিনি আরো বলেন যে, এটি ভবিষ্যতে ভারতের মঙ্গলগ্রহে মিশন চালানোর পথ অবারিত করতো এবং মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতো। এছাড়া ভারতের মহাকাশ অভিযান ইতিহাসে এ ধরনের মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দু'জন নারী। প্রোজেক্ট পরিচালক মুথায়া ভানিথা এবং মিশন পরিচালক রিতু কারিধাল। এটিও একধরনের জাতিগত গর্বের বিষয়। জুলাই মাসে উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ টেলিভিশন এবং ইসরোর অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার হয়। আর মিশনটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছিল, কেননা এর খরচ ছিল অত্যন্ত কম। এর চেয়ে অ্যাভেঞ্জার সিরিজের সবশেষ সিনেমা অ্যাভেঞ্জার এন্ড গেমের বাজেটও প্রায়েই দ্বিগুনের বেশি ছিল। প্রথম চন্দ্র অভিযান নিয়ে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই আরো খবর: ইমরান 'উস্কানি দিচ্ছেন'- ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়া বহু সৌদি সৈন্য আটকের দাবি হুতি বিদ্রোহীদের 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা'
ভারতের চন্দ্র অভিযান: নাসার নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিক্রম নামের অবতরণকারী যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ভারতের ঋতুস্রাব নিয়ে রয়েছে এখনো অনেক কুসংস্কার গুজরাটের শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটে এ ঘটনার পর হোস্টেল কর্মকর্তা এবং দুই শিক্ষকের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় মোট ৬৮ জন ছাত্রীকে বাধ্য করা হয় তাদের যে ঋতুস্রাব চলছে না, তা প্রমাণ করতে। ভারতের অনেক অঞ্চলেই মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে নানা কুসংস্কার রয়েছে। সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদেরকে দল বেঁধে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে টয়লেটে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের কাপড় খুলতে বলা হয়। বিবিসির সঙ্গে কথা হয়েছে এমন কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি বাইরে প্রকাশ না করার জন্যও কলেজের কর্মকর্তারা তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এক ছাত্রী জানান, "১১ ই ফেব্রুয়ারি পুরো কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তারা একে একে আমাদের বাথরুমে নিয়ে গেছে, সেখানে আমাদের পরীক্ষা করে দেখেছে আমাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা।" "ওরা আমাদের গায়ে স্পর্শ করেনি, কিন্তু মৌখিকভাবে আমাদের এমন হেনস্থা করেছে যে আমরা আমাদের কাপড় খুলে ওদের পরীক্ষা করতে দিতে বাধ্য হয়েছি।" স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর করারোপের বিরুদ্ধে মেয়েদের বিক্ষোভ। কলেজের ছাত্রীনিবাসের কয়েকজন কর্মচারী নাকি অভিযোগ করেছিলেন, এসব ছাত্রী নিয়ম ভঙ্গ করছে। সহজাননন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটট পরিচালনা করে একটি হিন্দু ট্রাস্ট। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের ছাত্রীনিবাসের রান্নাঘরে প্রবেশ করা নিষেধ। অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস: মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৫ জন আটক করোনাভাইরাস: চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লো কেন? ভ্যালেন্টাইন'স ডে কী, কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল? কলেজের একজন কর্মচারি দর্শনা ঢোলাকিয়া বলছেন, "এই মেয়েরা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা সেটি পরীক্ষায়। তখন কলেজের কর্মীরা তাদের পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তাদের শরীর কেউ স্পর্শ করেনি। এই মেয়েদের ঋতুস্রাব চলছিল। তারা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এখানে মেয়েরাই দোষী, কারণ তারা মিথ্যে বলেছিল।" ভারতের অনেক অঞ্চলে মেয়েদের ঋতুস্রাবের ব্যাপারটিকে এখনো কতটা ঘৃণার সঙ্গে দেখা হয়, এই ঘটনা তার প্রমাণ। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের নোংরা বলে গণ্য করা হয়। তাদের প্রার্থনার জায়গা সহ অনেক জায়গাতেই প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে ভারতে কলেজ হোস্টেলে মেয়েদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে বিদেশগামীদের করোনা নেগেটিভ সনদ রাখতে হবে তবে এখনো এ সম্পর্কিত কোনো গাইডলাইন মন্ত্রণালয় তাদের দেয়নি। "মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিবে আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিবো। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে তারা কোনো একটি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণও করে দিতে পারে আবার আমাদেরকে বললে আমরাও সেটি করতে পারবো," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা: আয়েশা আক্তার। এর আগে রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে প্লেনে বিদেশগামী সব যাত্রীকে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ব্যক্তি পাওয়ায় ঢাকার সাথে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ইতালি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে টেস্ট, কর্মীদের জন্য আলাদা কর্মকর্তারা বলছেন সরকারের আপাতত সিদ্ধান্ত হলো সরকার অনুমোদিত কোনো টেস্টিং সেন্টার থেকেই পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। বাংলাদেশে এখন যে ৭৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে ৪৫টিই সরকারি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। আর ইমেগ্রশন কর্তৃপক্ষ যাতে তা যাচাই করতে পারে সেজন্য রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে তার ওয়েবসাইটে দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে যারা কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যাবে তাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নিতে হবে। তবে সরকারি সব কেন্দ্রের মধ্য থেকে শুধু বিদেশ গামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কোনো কেন্দ্র নির্ধারণ করে দেয়া হবে কি-না তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা: আয়েশা আক্তার। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: শামছুল আলম বলছেন, "আমরা চাই না বিদেশে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হোক। তাই টেস্টিং করানো দরকার আগেই। সেক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে পারে। মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলে আমরা সেভাবে কাজ করবো।" তবে উভয় ক্ষেত্রেই একটি নির্ধারিত ফি'র বিনিময়ে এ টেস্ট করানো হতে পারে বলেও কর্মকর্তারা বলছেন। তারা আরও বলছেন, এছাড়া হজ যাত্রীদের যেমন সৌদি দূতাবাসের তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়, তেমনি করেও কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা যায়। সম্পর্কিত খবর: বিদেশ যেতে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে সব বাংলাদেশি নাগরিকের করোনা পরীক্ষায় অনিয়ম: বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতার আশংকা বাংলাদেশের সামনে? 'সরকারি কার্যক্রমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অযোগ্যতা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চরমে' 'চোর ধরে চোর হয়ে যাচ্ছি আমরাই', সংসদে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ই জুন থেকে সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল শুরুর পর পাঁচটির মতো এয়ারলাইন্স বিমান চালনা করছে ঢাকা থেকে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নির্দেশনা পায়নি বিমান সংস্থাগুলো গত ১৬ই জুন থেকে সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল শুরুর পর পাঁচটির মতো এয়ারলাইন্স বিমান চালনা করছে ঢাকা থেকে। বাংলাদেশ বিমান ও কাতার এয়ারওয়েজসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্স বলছে এখনো তাদের যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ নিতেই হবে, এমন কোনো নির্দেশনা তারা পাননি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন যাত্রীদের করোনা সনদের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা আসার পর তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। "আমাদের কোনো যাত্রীদের নিয়ে এখনো কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এটা বিশেষ পরিস্থিতি। যেভাবে নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিবো"। অন্যদিকে কাতার এয়ারওয়েজের একজন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ করতে চাননি) বলছেন তারাও এমন কোনো নির্দেশনা পাননি। "আমাদের যাত্রীদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। আগামীকাল ১৪ই জুলাই কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট যাবে। তাদের ক্ষেত্রে কী হবে আমরা এখনো জানিনা। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো নির্দেশনা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আমাদের দেয়নি যে যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ সাথে রাখতেই হবে," বলছিলেন তিনি। করোনা নিয়ে নতুন নতুন নিয়ম আসছে যাত্রীদের জন্য যেসব দেশের সাথে ঢাকার বিমান যোগাযোগ চালু আছে তাদের মধ্যেও কয়েকটি দেশ তাদের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে। আরব আমিরাত দেশটির কোনো বিমানবন্দরেই করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে লেবানন কর্তৃপক্ষ বিমান সংস্থাগুলোকে জানিয়েছে যে বৈরুতে যেসব ফ্লাইট যাবে, তাদের যাত্রীদের বৈরুত বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করবে তারা। এ জন্য যাত্রীদের টিকেটের সাথে অতিরিক্ত ৫০ ডলার ফি যোগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। "অর্থাৎ কেউ ঢাকায় কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে গেলেও বৈরুতে তার আবার পরীক্ষা হবে এবং সে অর্থ যাত্রীকেই দিতে হবে," বলছেন একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা।
করোনা ভাইরাস: বিদেশগামীদের পরীক্ষা কোথায় কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
টিকার ঘাটতি মেটাতে এখন বাংলাদেশ সরকার নানামুখী তৎপরতা চালানোর কথা বলছে। এদিকে, সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য প্রয়োজনীয় ডোজের চেয়ে ১২ লাখ ডোজ ঘাটতি রয়েছে। সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া অব্যাহত রাখা হলেও এর হার কমে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই মাসে কোন চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভিন্ন তথ্য বাংলাদেশে কি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন সম্ভব? বাংলাদেশে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা, রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা চুক্তির পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে দু'টি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা যে সংখ্যক মানুষ নিয়েছেন, তাতে প্রায় ১২ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি থাকার বলছে সরকারি সূত্রগুলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো: খুরশিদ আলম বলেছেন, প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, এখনকার টিকা থেকে তাদের বেশিরভাগকেই দেয়া সম্ভব হবে। তবে কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।" তিনি উল্লেখ করেছেন, টিকার সরবরাহ নিয়ে তাদের চিঠির জবাব দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট, কিন্তু তাতে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরা হয়েছে। "ভ্যাকসিন যেটা আমরা কিনেছিলাম, সেটার চালানগুলো সময়মতো এসে পৌঁছায় নাই। আমরা এ ব্যাপারে সিরাম এবং বেক্সিমকোকে চিঠি দিয়েছি। তারা জবাবে আমাদের জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুত আছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পেলেই তারা আমাদের দিতে পারে। আমাদের সময় আছে। আশা করছি, এর মধ্যে কিছু না কিছু পেয়ে যাব" বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছিল। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন বেক্সিমকোর পক্ষ থেকেও টিকা পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সাথে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কোম্পানিটির কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন। "ভারত আমাদের বলেছে যে, বাংলাদেশের সাথে যে চুক্তিটা হয়েছিল, সেটা হয়েছে ভারতের নতুন অ্যারেঞ্জমেন্টের (রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা) আগে। সুতরাং তাদের নতুন নীতির প্রভাব আমাদের ওপর পড়া উচিৎ নয়। তবে যেহেতু ভারতের নিজেদেরই চাহিদা অনেক বেড়েছে এবং তাদের অনেক আন্দোলন হচ্ছে যেন কোথাও টিকা দেয়া না হয়, সেজন্য ভারত সময়মত চালানটা পাঠায় নাই।" তিনি আরও বলেছেন, "এরমধ্যেও ভারত কথা দিয়েছে, ভারতের হাইকমিশনার এমুহুর্তে নয়াদিল্লীতে আছেন, যাতে আমাদের সরবরাহ ডিস্টার্ব না হয়, সেজন্য তিনি ওখানে কাজ করছেন।" বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা থাকলেও গত দুই মাসে কোন চালান আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগে থেকেই বিকল্প না রেখে একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করার কারণে বাংলাদেশ টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তবে এখন বিকল্প উপায় বা অন্য দেশ থেকে টিকা কীভাবে আনা যাবে, সেটা যাচাই করে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। কর্মকর্তারা বলেছেন, যে দেশগুলোতে টিকা উৎপাদন হচ্ছে, এখন সে ধরনের সব দেশের সাথেই যোগাযোগ করে টিকা পাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া এবং চীন থেকে টিকা আনার জন্য তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী যৌথভাবে তাদের স্পুটনিক টিকা বাংলাদেশ উৎপাদনের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, "রাশানদের নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা সীমিত। সেজন্য তারা আমাদের একটা প্রস্তাব দিয়েছে যে তোমাদের দেশে আমরা কো-প্র্রোডাকশনে যেতে চাই। তোমাদের দেশে অনেক ভাল ঔষধ কোম্পানি আছে, তারা যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে আমরা এই টেকনোলজি শেয়ার করে টিকা উৎপাদন করতে পারবো। এটা আমাদের পছন্দ হয়েছে।" "আমরা এজন্য এর উপর কাজ করছি। রাশানদের কো-প্রোডাকশনের ভিত্তিতে আনার চেষ্টা করছি। আর তাছাড়াও আমরা চায়না থেকেও আনার চেষ্টা করছি। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি," বলেন মি: মোমেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে সেই উৎপাদন শুরু করা সম্ভব।
করোনা ভাইরাস টিকা: ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের জোর কূটনৈতিক চেষ্টা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। এই বয়সী একটি ছেলে কীভাবে একা বালিতে গেলো তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। ছেলেটির বাবা-মা ঐ ইন্দোনেশীয় দ্বীপে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করলেও পরে সেটা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু নাছোড়বান্দা ছেলে মানতে নারাজ। এ নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয় সে। পরে নিজেই অনলাইনে ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং দিয়ে চুপি চুপি পাড়ি জমায় ইন্দোনেশিয়ায়। সিডনির সেল্ফ সার্ভিস চেক ইন টার্মিনাল থেকে পার্থ হয়ে কানেক্টিং ফ্লাইটে সে পৌঁছায় স্বপ্নের বালিতে। শুধুমাত্র নিজের পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ড ব্যবহার করে সে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে। সেখানে শুধুমাত্র একজন বিমান কর্মকর্তা তার বয়স যাচাই করতে স্টুডেন্ট আইডি এবং পাসপোর্ট দেখতে চেয়েছেন। হোটেলে চেক ইন করার সময় সবার সন্দেহ এড়াতে ছেলেটি জানায়, তার বোন পরে এসে যোগ দেবে। আরো পড়ুন: একটি ভ্রমণ কাহিনী ও রোহিঙ্গা আদি নিবাস বিতর্ক বুদ্বুদের মধ্যে কাটলো যে ছেলের জীবন কোন ঝামেলা ছাড়াই একা একা বালি ভ্রমন যেন অভিযাত্রার মতো মনে হয়েছে ওই কিশোরের। এদিকে, টানা কয়েকদিন কোন খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের কাছে ছেলেটির নিখোঁজের অভিযোগ যায়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে সব তথ্য। ছেলের এমন কাণ্ড দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েন তার মা। "আমার ভেতরে তখন কোন আবেগ কাজ করছিলো না। বিশ্বাসই হচ্ছিলো না আমার ছেলে এতোটা দূরে একা একা চলে গেছে।"- বলেন কিশোরটির মা। তবে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়নি পুলিশ, তাকে বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয়ার আগে কাস্টডিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় তারা। যেন আর কখনো এ ধরণের ঘটনা না ঘটে। এ ঘটনায় এয়ারলাইন্সের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, বিমান বিশেষজ্ঞ ড. ক্রিস্টাল ঝ্যাং জানান, প্রতিটি এয়ালাইন্সে শিশুদের একা চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন থাকে। তবে শিশুটির ক্ষেত্রে কোন আন্তর্জাতিক সতর্কতা না থাকায় সে পার পেয়ে গেছে।
অভিমান করে কিশোরের একাকী বালি ভ্রমণ
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
সদ্যোজাত যমজ সন্তান দেখতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো আমেরিকা রওনা হয়েছেন বলে খবর গত কয়েকদিন ধরে পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরচ্ছিল যে আমেরিকায় একজন সারোগেট মা তার দুই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু চিলের কাছে পেনাল্টিতে তার জাতীয় দল হেরে যাবার পর তিনি খবরটি স্বীকার করে ঘোষণা দিলেন। wFacebook -এ রোনাল্ডো বলেছেন : ''আমার বাচ্চাদের প্রথমবারের মত দেখতে যাছি - আমি দারুণ খুশি।'' আগেই একটি ছেলে রয়েছে রোনাল্ডোর - নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়র। জন্ম ২০১০ সালের জুন মাসে। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো তার মেসেজ শুরু করেছেন এই বলে যে সন্তান জন্মের খবর পাওয়ার পরেও তিনি "দেহ-মন'' দিয়ে জাতীয় দলের জন্য খেলেছেন, কিন্তু ''দুঃখজনক যে আমরা খেলায় আমাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি।'' তার যমজ সন্তান সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানা যায় নি। তবে পর্তুগাল থেকে অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে ৮ই জুন তার যমজ সন্তান জন্মেছে- কনফেডারেশন কাপ শুরু হবার অনেক আগেই। দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে বলা হয়েছে যমজ সন্তানেদের একটি ছেলে ও অন্যটি মেয়ে- তাদের নাম এভা আর মাতেও। অন্যান্য খবরে আরও বলা হয়েছে রোনাল্ডোর মা ডলোরিস অ্যাভেইরো শিশু দুটি জন্মানোর পরই আমেরিকা চলে গেছেন। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে কনফেডারেশন কাপের আগে রোনাল্ডো তাদের জানিয়েছিলেন তিনি আবার বাবা হয়েছেন। কিন্তু তিনি রাশিয়ায় টিমের সঙ্গে খেলতে যেতে চান। ফেডারেশন বলেছে তার এই সিদ্ধান্তকে তারা মনে করে ''খুবই প্রশংসাযোগ্য এবং উল্লেখ করার মতো।'' তেসরা জুন ইউএফা চ্যাম্পিয়ানস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিজয়ের পর প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগাজ ও ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়রের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। রোনাল্ডো রোববার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলছেন না এবং আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন বলছে, ''তাকে দল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি যাতে তিনি নবজাতকদের কাছে যেতে পারেন।'' বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি আমেরিকার পথে পাড়ি জমিয়েছেন। পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমে এখন জোর গুজব রোনাল্ডোর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মডেল জর্জিনা রডরিগাজও সন্তানসম্ভবা। রোনাল্ডো সোশাল মিডিয়ায় তার প্রেমিকার পেটের ওপর হাত রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ এই ছবিটি পোস্ট করার পর থেকে এই গুজব ছড়িয়েছে। গত মাসে ২৬শে মে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো তার প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগাজের সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে।
পর্তুগাল হেরে যাবার পর রোনাল্ডো স্বীকার করলেন তিনি বাবা হয়েছেন
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
পয়লা নভেম্বর গণভবনে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ঐক্যফ্রন্টের দাবি- বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু বরাবরের মত প্রথম দফার সংলাপের সময়েও সরকার বলেছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে এই দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। আরো পড়ুন: 'সংবিধানসম্মত' সমঝোতাতেই রাজী হবে ঐক্যফ্রন্ট? সংলাপ: অসন্তুষ্ট বিএনপি এখন কী করবে? নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে সন্দেহ আওয়ামী লীগের তাহলে বিরোধী জোট কি আশা করছে যে এ কদিনে সরকারের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে? ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা মওদুদ আহমেদ বিবিসিকে জানান, সরকার সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় তারা চিন্তা করেছেন সরকারের অবস্থান পরিবর্তন করতেও পারে। মি. মওদুদ আহমেদ বলেন, "সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়টি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।" "মেয়াদ পূর্তির আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেয়ার উপদেশ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতিকে। তখন রাষ্ট্রপতি চাইলে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।" সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কালীন সরকারের অধীনে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কি না সেবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান মি. আহমেদ। "তাঁরা ক্ষমতায় থেকে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নিতে রাজি আছেন - তা পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো কি না।" মওদুদ আহমেদ (ফাইল ছবি) খালেদাা জিয়ার মুক্তি: ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তি। সরকার যদি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি না মেনে অন্য দাবিগুলো মেনে নেয় তখন ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে? এমন প্রশ্ন করা হলে মি. মওদুদ আহমেদ বলেন, "সেই ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমরা পারি নাই, পারছি না।" "সেরকম কিছু হলে তৃণমূল সহ সব পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং খালেদা জিয়া কী ভাবছেন সেটা জানতে হবে।" ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রথম দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ সংসদ ভেঙে দেয়া এবং সরকারের পদত্যাগ তিনটি দাবি যুগপৎ ভাবে আছে বলে জানান মি. আহমেদ। সরকার যদি তিনটির একটি দাবিও না মানে, সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে? "তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন তো আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না", বলেন মি. মওদুদ আহমেদ।
সংলাপ: বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে সিদ্ধান্ত হয়নি, বললেন মওদুদ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মিস্টার হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আদালত 'তামিমা সুলতানার স্বামী' রাকিব হাসানের জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মার্চের ৩০ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে পিবিআইকে। মিস্টার হাসান তামিমা সুলতানাকে তার স্ত্রী দাবি করে গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে কথা বলে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা চলছে। আবার গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি রেস্তোঁরায় এক অনুষ্ঠানে তামিমা সুলতানা ও নাসির হোসেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কী আছে মামলার আবেদনে? মামলার আবেদনে বলা হয়েছে রাকিব হাসান ও তামিমা সুলতানা ২০১১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয় যার বয়স এখন আট বছর। পেশায় কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা ১০ই মার্চ ২০২০ সালে সৌদি আরবে গিয়ে করোনার কারণে আর দেশে ফিরতে পারেননি। তবে এ সময়েও মিস্টার হাসানের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়। ইশরাত জাহান বলেন, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার 'কথিত বিবাহের' ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বাদীর নজরে আসে উল্লেখ করে মামলার আবেদনে বলা হয় বাদী এ ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। মামলায় বলা হয়, "১নং আসামি (তামিমা সুলতানা) বাদী (রাকিব হাসান) এর সাথে বিবাহের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় ২নং আসামি (নাসির হোসেন)র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন"। তবে ক্রিকেটার নাসির হোসেন বা তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর দিক থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে থানায় একটি জিডি করেছিলেন রাকিব হাসান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে সেখানে বিসিবির কিছু করার নেই' বাংলাদেশে যে ভিডিও নাড়া দিয়েছে সবাইকে আহত নীলগাই উদ্ধার হলো ঠাকুরগাঁওয়ে
ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা তার স্ত্রীর 'প্রথম স্বামীর', পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
মেক্সিকোর টিহুয়ানা সীমান্তে মার্কিন দেয়ালের একটি নমুনা। এর আগে এই দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মি. ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে বলে স্বীকার করেছিলেন হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি। ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মি. কেলি একথা জানান। মেক্সিকো বরাবর দেয়াল নির্মাণের প্রশ্নে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয়ার সময় বিষয়টি সম্পর্কে মি. ট্রাম্পের ধারণা পরিষ্কার ছিল না বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, মি. কেলি তাও অস্বীকার করেননি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুধবার ইমিগ্রেশন নিয়ে এক বৈঠকের সময় মি. কেলিকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায়। ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন সংসদ এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে তার জেরে সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জন কেলি (বাঁয়ে) গত জুলাই মাসে হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হন। আরো দেখুন: ট্রাম্পের কুইজে অংশ নিতে চান? প্রায় ১০০ কোটি টাকা ফেরত পাবে মুন সিনেমার মালিক 'যশোর রোডের গাছগুলো এখনই কাটা যাবে না' মি. কেলি ঐ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রশাসন এখন যে দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সেটির দৈর্ঘ্য হবে ১৩০০ কিলোমিটার। আগে পরিকল্পনা ছিল ৩১০০ কি.মি. দেয়াল নির্মাণের। তিনি জানান, এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০০ কোটি ডলার। মি. ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন, এই দেয়াল নির্মাণে ১০০০ থেকে ১২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় মি. ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন, এই ব্যয়ের পুরোটা আদায় করা হবে মেক্সিকোর কাছ থেকে। হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি বলছেন, তারা এখন ভিন্ন উপায়ে অর্থ জোগানোর কথা চিন্তাভাবনা করছেন। যেমন, ভিসা ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং নাফটা বাণিজ্য চুক্তিতে নতুনভাবে দরকষাকষির মাধ্যমে। "নির্বাচনী প্রচার চালানো প্রশাসন পরিচালনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন," বলে মি. কেলি মন্তব্য করেন। তবে এই দেয়াল কোনও অর্থ দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো। প্রতিবছর কাজ বা ভাল জীবনের খোঁজে নতুন করে হাজার হাজার মেক্সিকান অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এটি সবসময়ই মার্কিন রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা ইতোমধ্যেই মেক্সিকোতে কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। মেক্সিকানরা এটিকে বর্ণবৈষম্যবাদ বলে আখ্যা দিয়েছে।
মেক্সিকোর সীমান্ত বরাবর দেয়াল নির্মাণ প্রশ্নে মত বদলের কথা অস্বীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে লাখ-লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে পালিয়ে যান ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনও ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে, যাদের মধ্যে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন। ৩১শে জানুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুচারিচ সোমবার সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, "রাখাইন রাজ্যে এখনো ছয় লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার রয়েছে বন্দী শিবিরে, যেখানে তাদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত।" "তাই আমাদের আশঙ্কা, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাদের পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।" মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে। আরো পড়তে পারেন: সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? কে এই জেনারেল মিন অং লাইং সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? রাখাইনে এমন দৃশ্য বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলেছিলো রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানের পর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই অভিযানের সময় গণহত্যা, গণধর্ষণ, ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ঘটেছে বলে অভিযোগ আনেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা । সেনাপ্রধান মিন অং লাইংসহ চারজন সামরিক নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং এখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতা:র ব্যক্তি। সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাখাইনে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা আবারো ঘটতে পারে। তবে মিয়ানমারের মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী যে 'ভুল' করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি করবে না। মিয়ানমারের মানবাধিকার আইনজীবী এবং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে গঠিত কফি আনান কমিশনের সদস্য ইয়ো লোয়ে বলেন, "মিয়ানমারে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে পুরো মিয়ানমারের মানুষ শঙ্কিত।" "পুরো বিশ্বের নজর এখন মিয়ানমারের দিকে। কাজেই আমার মনে হয় না ২০১৭ সালে তারা যেই 'ভুল'টা করেছিল, সেটি এবারও করবে।" তবে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করলেও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের যেই নীতি ছিল, তার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন না মি. লোয়ে। এসব ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা তিনি বলেন, "সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যে খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে, তা নয়। কাজেই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের মনোভাব খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে আমা্র ধারণা।" সোমবার সামরিক বাহিনীর ক্যু-এর পর মিয়ানমারে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু এলাকায় টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই বলছেন রাখাইনে তাদের আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। কুতুপালং ক্যাম্পে থাকা মোহাম্মদ বারেক জানান, "হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ওখানকার (রাখাইন) বন্ধুদের সাথে আমাদের যোগাযোগ হত।" "কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।" তবে উখিয়ার আরেকটি ক্যাম্পে থাকা আমিন মোহাম্মদ জানান রাখাইনে তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের সাথে তিনি যোগাযোগ করতে পেরেছেন। ঐ আত্মীয়ের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাখাইন অঞ্চলে জীবনযাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নজরে না এলেও এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এক নজরে মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ মিয়ানমার যার জনসংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সাথে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার শাসন করেছে দেশটি। যার কারণে নিন্দা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে দেশটি। গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে বছরের পর বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন অং সান সু চি। ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করলেও সামরিক বাহিনীর হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে অং সান সু চির ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু দুই বছর পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সামরিক বাহিনীর নির্মম অভিযানের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়টি সু চি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরায়। তবে নিজের দেশে জনপ্রিয়ই ছিলেন সু চি এবং ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও তার দল বিপুল জয় পায়। কিন্তু এর পর আবারো দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সামরিক বাহিনী। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: মুম্বাইতে যেভাবে চলছে শেখ মুজিবের জীবন নিয়ে ছবির শুটিং ইয়েমেন যুদ্ধে সমর্থন প্রত্যাহার বাইডেনের, কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে
মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: রাখাইনে থাকা ছয় লাখ রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কেন
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
জাফরাবাদের একটি বাড়ির বৈঠকঘরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ মুসলিম নারী-পুরুষ-শিশু বুধবার দুপুরের পর বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি গিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ এলাকায় যেখানে সোমবার এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। বিস্তৃত এই এলাকাটিতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাদের সিংহভাগই খেটে খাওয়া গরীব মানুষ। "দিল্লির একদিকের জীবনযাত্রা দেখে মনে করার কোনো উপায় নেই শহরের একাংশে চরম খুনোখুনি হচ্ছে। যমুনার ওপরের সেতু পেরিয়েই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ঢোকার পরপরই যেন মনে হলো একটা মৃত্যুপুরীতে ঢুকলাম, " বলছিলেন শুভজ্যোতি। মূল সড়কের দুপাশে সারি সারি দোকানের সব বন্ধ, কোনোটি আগুনে পোড়া, এখনও কোনোটি থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। তারপর মূল সড়ক থেকে গলির ভেতরে ঢুকেও মনে হচ্ছিল পুরো এলাকা যেন জনশূন্য। "মানুষজন দরজা বন্ধ করে সব ঘরের ভেতর বসে আছেন। ভয়ে সিটিয়ে আছেন।" "প্রথম ৪৮ ঘণ্টা মনে হচ্ছিল একটা সহিংসতা চলছে, কিন্তু এখানে এসে মানুষজনের সাথে কথা বলে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই যে এটা পুরাদস্তুর একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। নাগরিকত্ব আইন ছিল শুধুই একটা ছুতো।" উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এমন বেশ কিছু মসজিদে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয় এলাকার মুসলিম প্রধান এলাকাগুলোতে শুধু বাড়ি ঘরদোরেই নয়, অনেক মসজিদে হামলা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। জাফরাবাদের মেট্রো স্টেশনের কাছে মুস্তাফাবাদ এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে শুভজ্যোতি দেখতে পান বাড়ির বৈঠকখানায় কয়েকশ মুসলিম, যাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু- তারা বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।। তাদের চোখে মুখে আতংক, অবিশ্বাস। পারভেজ নামে একজন মুসলিম ব্যবসায়ী উপদ্রুত লোকজনের জন্য তার বৈঠকখানাটি খুলে দিয়েছেন। সেখানে এক মাঝবয়সী এক নারী বলেন, কোথা থেকে হঠাৎ করে জয় শ্রীরাম হুঙ্কার দিয়ে শত শত 'গুণ্ডা' মুসলিমদের বাড়িতে হামরা চালায়। "তারা চিৎকার করছিল, মুসলমানদের খতম করে দেব। বাঁচতে দেবনা। তারা বলছিল পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারবেনা।" শুভজ্যোতি দেখতে পান, অনেক বাড়িতে লোক নেই। মানুষজন পালিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। বহু মানুষ বলেছেন, সোমবার থেকে দুদিন ধরে চলা এই সহিংসতার সময় পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেছেন দাঙ্গার সময় পুলিশ ছিল নিস্ক্রিয় শুভজ্যোতি বলছিলেন, "এই অভিযোগ আমি অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। মুস্তাফাবাদের বাসিন্দারা বলছিলেন এলাকার ফারুকিয়া মসজিদ এবং মিনা মসজিদের যখন হামলা হচ্ছিল, তখন সামনেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। তারা বাধা দেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি।" নিহতের সংখ্যা ২০ ছাড়ানোর পর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান অজিত দোভাল দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ঘুরছেন। মানুষজনের সাথে কথা বলছেন, আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শুভজ্যোতি বলছেন যে আতঙ্কের ছাপ তিনি উত্তর-পূর্ব দিল্লির মানুষের চোখে-মুখে দেখেছেন তা সহজে যাবে বলে মনে হয়না।
দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত জাফরাবাদে যা দেখছেন বিবিসির সংবাদদাতা
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
গত বছর ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একুশে বইমেলার কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আজ রবিবার বিকেলের দিকে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। মোট পাঁচটি ভিডিও ফুটেজ থেকে ছয়জনকে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে পুলিশ চিহ্নিত করেছে। হত্যার ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর আজ পুলিশের পক্ষ থেকে এই ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হলো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রকাশিত প্রথম ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদ বইমেলায় হাঁটছেন ও তাঁদের পেছনেই এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন টিপতে টিপতে তাদের পেছন পেছনই এগুচ্ছে। এরপরই আরও দুজন তরুণ একসাথেই এগুচ্ছিলেন, একজনের কাঁধে ব্যাগ এবং অপর আরেকজনের চোখে চশমা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রাত তখন ৮টা ৪৪ মিনিট। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী হাঁটছেন, তাঁদের পেছনেই এক ব্যক্তি যাচ্ছেন। ডিএমপি প্রকাশিত দ্বিতীয় ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ বইমেলার গেইট দিয়ে বের হয়ে আসছেন। তাদের পেছনে প্রথম ভিডিওতে চিহ্নিত ওই তিনজনকেও দেখা যাচ্ছে। এই তিনজন তরুণ বাইরে বেরিয়ে আসার সময়ও মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। আরেক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বইমেলার মূল ফটকের বাইরে পাঞ্জাবী পড়া এক তরুণ দাড়িয়ে আছে। সেখানে সময় দেখা যাচ্ছে বিকেল চারটা। প্রায় একই সময়ে এক তরুণ সাইকেল নিয়ে মেলায় প্রবেশ করছে। ঘটনার দিনের আরেক ভিডিও সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে সাদা শার্ট গায়ে আরেক তরুণকে মেলা থেকে বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী প্রবেশের পর তিনজন তরুণও প্রবেশ করছে। পুলিশ এই ছয়জন সন্দেহভাজনের ভিডিও প্রকাশ করলেও তাদেরর নাম–পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। ডিএমপির ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত ভিডিওগুলোর ছবি দেখে কেউ যদি এদের শনাক্ত করতে পারেন তাহলে তাদের সম্পর্কে যে কোনও তথ্য জানানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একুশে বইমেলার কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদও আহত হন। অভিজিৎ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে।
অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড: সন্দেহভাজন ৬ জনের ভিডিও প্রকাশ
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
ঢাকার এখন অ্যাপার্টমেন্ট আর ফ্ল্যাটের শহর, কিন্তু এখনও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। পছন্দের বাড়ি খোঁজার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকা, তারপর ধানমন্ডি এবং বসুন্ধরা। সম্পত্তি, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনাবেচার একমাত্র মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান বি-প্রপার্টির কাছে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা চাহিদা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফলে দেখা গেছে ঢাকায় বসবাসের জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদা বিমানবন্দরের কাছে উত্তরা এলাকায়। বি-প্রপ্রার্টিরও সাইটে রেজিস্ট্রি করে যারা অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজেছেন, তাদের ২৪ শতাংশই এই এলাকাটি পছন্দ করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিরপুর, ২০ শতাংশ। মোহাম্মদপুরে খুঁজেছেন ১৪ শতাংশ গ্রাহক, ধানমন্ডিতে ১১ শতাংশ, বসুন্ধরায় ১০ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা ১৫০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট। বি-প্রপার্টির কাছে আসা মোট অনুরোধের অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক (প্রায় ৫৪ শতাংশ) ১৫০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট খুঁজছেন। ২৭ শতাংশ গ্রাহক খুঁজেছেন ১০০০ বর্গফুট আয়তনের। ছোটো আয়তনের এ ধরনের ফ্ল্যাটের জন্য জনপ্রিয় এলাকা মিরপুর, বাড্ডা এবং উত্তরার কাছে দক্ষিণ খান এলাকা। কেন উত্তরার চাহিদা সবচেয়ে বেশী বি-প্রপার্টির প্রধান নির্বাহী মার্ক নুসওয়ার্দি বিবিসি বাংলাকে বলেন, পরিকল্পিত একটি উপশহরের বিভিন্ন উপকরণ থাকার কারণে উত্তরা এখন বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় এলাকা হয়ে উঠেছে। "আমি মনে করি উত্তরা এখন ঢাকার হৃৎস্পন্দন (হার্ট-বিট)। পরিকল্পিত একটি শহর এটি। চওড়া রাস্তা। এমন সব অবকাঠামো এখানে হয়েছে যেগুলো ভালো একটা লাইফ-স্টাইলের উপযোগী।" তিনি বলেন - আগামি দশ বছরের মধ্যে ঢাকা স্থানান্তরিত হবে পূর্বাচলে যেটা উত্তরার খুব কাছে। কয়েকবছরের মধ্যে শুরু হবে মেট্রো-রেল যেটা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। এছাড়া, এলাকাটি বিমানবন্দরের কাছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উত্তরের দিকে চলে যাচ্ছে। "ফলে মানুষ থাকার জন্য উত্তরাকে পছন্দ করছে।" মি নুসওয়ার্দি জানান, চাহিদার কারণে উত্তরায় অ্যাপার্টমেন্টের দামও দিন দিন বাড়ছে। মাঝারি আয়তনের ফ্ল্যাটের দাম এমনকি এক কোটি ৪০ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে মিরপুরে চাহিদার প্রধান কারণে এখনও সেখানে ফ্ল্যাটের দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তের ভেতরে রয়েছে। মি. নুসওয়ার্দি জানান, এখনও মিরপুরের কোনো কোনো জায়গায় ৯০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কম-বেশী ২০ লাখ টাকায় মিলে যায়। ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ চলছে। মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা থেকে মতিঝিল, এবং উত্তরায় বসবাসের চাহিদা বাড়ার অন্যতম কারণ সেটি। ঢাকায় ফ্ল্যাটের ক্রেতা কারা? মার্ক নুসওয়ার্দি বলেন, প্রতিদিন তাদের কাছে গড়ে ১৫০০ নতুন চাহিদা আসে এবং এদের মধ্যে নানা ধরণের এবং পেশার মানুষ রয়েছেন। তিনি জানান, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরের মত এলাকায় মানুষ থাকার জন্যই ফ্ল্যাট খোঁজেন। অন্যদিকে, যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের প্রধান টার্গেট গুলশান, বনানী এবং ধানমন্ডি। চাহিদামতো ফ্ল্যাটের আকাল মার্ক নুসওয়ার্দি বলেন, বাংলাদেশে গত চার বছর ধরে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা থেকে তার মনে হয়েছে, সমাজ এবং পরিবার যেভাবে বদলেছে, আবাসন খাত সেভাবে বদলায়নি। "প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ফ্ল্যাট কেনার জন্য খোঁজখবর করছেন, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তাদের চাহিদামত কিছু পাচ্ছেন না।" তিনি বলেন - মধ্যবিত্তের আয় বাড়ছে এবং বৃহত্তর যৌথ পরিবারের সাথে এখন ছেলেমেয়েরা থাকতে চাইছে না। "তারা খুব দূরে হয়তো যেতে চায়না, কিন্তু অন্য জায়গায় নিজেদের মত করে থাকতে চায়। সেই ক্ষমতাও তাদের হয়েছে। কিন্তু চাহিদা মত জায়গা পাচ্ছেনা।।" তার মতে - নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর বা হংকংয়ের আদলে এখন 'ওপেন প্লান, দুই বেডের কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাটের' চাহিদা ঢাকায় তৈরি হয়েছে, কিন্তু ডেভেলপাররা ঠিকমত সেটা অনুধাবন করতে পারছেন না। আরও পড়ুন: বিদেশিদের জন্য ঢাকা নগরী কেন এত ব্যয়বহুল? ঢাকার আবাসন মেলায় কবরের প্লটের আগাম বুকিং
ঢাকায় থাকার জন্য পছন্দের শীর্ষে উত্তরা, মিরপুর - সমীক্ষা রিপোর্ট
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
বাংলাদেশে শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ৬ শতাংশ হওয়া উচিত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা অর্থের হিসেবে ২০১৮-১৯ বছরের বাজেটে এই যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকার কেন এত কম বরাদ্দ করলো? ভবিষ্যতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে? অর্থনীতিবিদ এবং গবেষকরা বলছেন, এই দুই খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকলে তাহলে একটি কর্মক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী করা সম্ভব নয়। এবার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে সাড়ে ২৩ হাজার কোটির কাছাকাছি অর্থ বরাদ্দ করেছে। আর শিক্ষাখাতে সাড়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। টাকার অংকে হিসেবটা অনেক বড় মনে হলেও জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিকের এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে শিক্ষাখাতে ব্যয় দুই শতাংশ এবং স্বাস্থ্যখাতে এক শতাংশেরও কম। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির অনুপাতে এই দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাংলাদেশের ব্যয় এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। এ খাতগুলোয় কি ব্যয় বাড়ানো যেতো? বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ এ প্রশ্নের জবাবে বলছিলেন, যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বা ধীরগতি সম্পন্ন - সেখান থেকে সহজেই টাকা কেটে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে লাগানো যেতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র শিক্ষাখাতে কম বরাদ্দের কথা স্বীকার করেন সরকারের মন্ত্রীরাও তিনি বলছিলেন, "উন্নয়ন বাজেটে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যেগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হত যে আদৌ এসব প্রকল্পগুলোয় দিনের পর দিন অর্থ খরচ করা হবে কীনা! অনেক প্রকল্প আছে যা দু্‌ই বছরে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গত দশ বছরেও সেগুলোর কাজ আগায় নি"। তিনি আরো বলছিলেন, একটা অর্থবছর শেষে যদি দেখা যায় কোন খাতে অর্থ বেঁচে গেছে - সেটা পরবর্তীতে অর্থবছরের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে কাজে লাগাতে পারে সরকার। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকার কেন এত কম বরাদ্দ করলো? জানতে চাইলে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান স্বীকার করেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দুইখাতে বরাদ্দ কম। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে স্বাস্থ্য খাতে যারা বিভিন্ন যন্ত্র কেনেন তাদের আপডেট প্রযুক্তি সম্পর্কে সবসময় অভিজ্ঞতা থাকে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কম বরাদ্দ থাকলে কর্মক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব নয় এই দুইখাতে বরাদ্দ কম হলে জনগণের উপর কি ধরণের প্রভাব পড়তে পারে? অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের গবেষকরা বলছেন, যদি এই দুই খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকে তাহলে একটি কর্মক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মত দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দ থাকা উচিত বলে মনে করছেন গবেষকরা। ড. নাজনীন আহমেদ বলছিলেন "আমার প্রচুর পরিমাণে হিউম্যান ক্যাপিটাল দরকার। যেটা আসবে শিক্ষা থেকে এবং স্বাস্থ্য থেকে। বলা হয় যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে ৬% বরাদ্দ থাকে তাহলে এই ধরণের দেশের জন্য যথাযথ ।" "সেই হিসেবে চিন্তা করলে বলা যায় বাংলাদেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত, যেটা গ্রহণযোগ্য নয় এবং বাংলাদেশের জন্যেও কোন সুখবর না" - বলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: যৌন আনন্দের জন্য গাঁজা ব্যবহার করেন যে লোকেরা রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি নতুন সংশয় তৈরি করলেন?
বাংলাদেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিচে, পরিণাম কী?
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন।
১৯৩৩ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রে মদপানের অভ্যাসটি এখনো বেশ বিতর্কিত। ১৯২০ হতে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের ১৮ তম সংশোধনীর মাধ্যমে মদ তৈরি, বিপনন, আমদানি এবং পরিবহন পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল । যুক্তরাষ্ট্রে এই সময়কাল 'প্রহিবিশন যুগ' বলে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে সরকার এই কাজ করেছিল, কার্যত তার উল্টো ফল হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর অ্যালকোহলের উৎপাদন, বিপনন, বিক্রি পুরোটাই চলে যায় অপরাধী চক্রের হাতে, আর সরকার বঞ্চিত হয় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে। যার ফলে ১৯৩৩ সালে মাত্র ১৩ বছরের মাথায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মদ নিষিদ্ধ করার সেই উদ্যোগ এভাবেই বিফল হয়। ওই ঘটনার পর আজ পর্যন্ত কোনো প্রধান রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী মদ নিষিদ্ধ করার দাবি আর তোলেনি। আর এরকম একটা ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে মানুষের সমর্থনও একেবারেই নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের মদপানের ব্যাপারটি এখনো বেশ বিতর্কিত। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে মদপানের জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা যথেষ্ট উপরে। ২১ বছরের কমবয়সীরা আইনত মদ পান করতে পারে না, তাদের কাছে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ। ইউরোপ বা অন্য অনেক দেশের তুলনায় মদপানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মনোভাবও বেশি রক্ষণশীল। গ্যালপ পোল সম্প্রতি এক জরিপ চালিয়ে দেখেছে এখনো দেশটির প্রতি পাঁচ জনের একজন মনে করে মদ পান নৈতিকভাবে খারাপ। তবে 'প্রহিবিশন যুগে'র ব্যর্থ চেষ্টা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে এখনো কিছু গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মদ পান নিষিদ্ধ করার জন্য। 'প্রহিবিশন পার্টি' হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। অনেকের ধারণা, এই দলের মৃত্যু ঘটেছে অনেক আগে। কিন্তু আসলে তা নয়, এটি এখনো সক্রিয়। জিম হেজেস হচ্ছেন এই দলের কোষাধ্যক্ষ। ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত নারীরা মদ পান নিষিদ্ধ করারও পক্ষে ছিলেন। 'আমরা এই ধারণা এবং এই ইতিহাসকে জীবন্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি', বলছেন তিনি। তবে খুব শিগগিরই যে তাদের এই আন্দোলনের পক্ষে বড়সড় জনসমর্থন পাওয়া সম্ভব হবে, সেটা স্বীকার করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র মদ্যপান নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। আন্দোলনকারীরা মূলত মদ্যপানকে অনৈতিক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করতেন। মেথডিস্ট চার্চের অনুসারীরা এবং আরও কিছু সংগঠন মদ পান নিষিদ্ধ করার আইনের পক্ষে জনমত গঠনে সহায়তা করে। মদ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে নারী সমাজ: ডক্টর জুলিয়া গারনেরি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির মার্কিন ইতিহাসের সিনিয়র লেকচারার। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এই মদ্যপান বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে নারী সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে উইমেন্স ক্রিশ্চিয়ান টেম্পারেন্স ইউনিয়ন বা ডাব্লিউসিটিইউ বলে সংগঠনটির। "ওরা মনে করত যে লোকজন কাজ করে যে বেতন পায়, সেটা পরিবারের পর্যন্ত আসে না, তার আগেই ওরা পানশালায় মদ খেয়ে সেই টাকা উড়িয়ে দেয়।" মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত বেশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠলো। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে শুরু হলো আন্দোলন। মদ খেয়ে বাড়ি আসা স্বামীর হাতে স্ত্রী এবং সন্তানদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাও ছিল সেসময়ের এক বড় সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রে মদ নিষিদ্ধ করা আর নারীদের ভোটাধিকারের আন্দোলন চলছিল একই সঙ্গে। প্রহিবিশন আইন পাশ হওয়ার কিছুদিন পরই ১৯ তম সংশোধনীও পাশ হয় যাতে মেয়েদের ভোটাধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়। যে নারীরা সেসময় ভোটাধিকারের পক্ষে আন্দোলন করছিলেন, তারা একই সঙ্গে মদ পান নিষিদ্ধ করারও পক্ষে ছিলেন। কারণ তারা মনে করতেন, নারীদের নির্যাতিত হওয়ার পেছনে পুরুষদের মদের নেশাও ছিল একটি কারণ। ডক্টর গারনেরির মতে, এই দুটি আইনের মধ্যে অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ডাব্লিউসিটিইউর মতো সংগঠন মনে করতো, পরিবারের সুখ-শান্তি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য মদ নিষিদ্ধ করার দরকার আছে। উনিশ শতকের শেষে এবং বিশ শতকের গোড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যায় অভিবাসী আসছিল। এদের মধ্যে ছিল প্রচুর ক্যাথলিক এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বী যারা এসেছিল মূলত দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে। এই অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ ছিল। ইউরোপ থেকে আসা এই নতুন অভিবাসীদের মধ্যে মদ পানের অভ্যাস ছিল। এরা যেভাবে বিয়ার পান করতো, তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে ছিল খুবই অস্বাভাবিক ঠেকতো। ক্যাথলিক এবং ইহুদীদের ধর্মীয় রীতি-নীতির মধ্যেই মদ্যপানের ব্যাপার আছে। যদিও সেসব রীতি-নীতি পালনে বাধা দেয়া হতো না, তারপরও মদ পান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আসলে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণেরও একটা চেষ্টা ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে ১৮তম সংশোধনী বাতিল করতে হয়। মদ্যপান নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি কেন ব্যর্থ হয়েছিল প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ যখন শুরু হলো তখন এই মদ্যপান নিষিদ্ধ করার আন্দোলনটি আরো শক্তিশালী হয়। যারা আন্দোলন করছিলেন তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে উৎপাদিত শস্য মদ তৈরি করার চাইতে বরং যুদ্ধের কাজে লাগানোটাই বেশি দরকার। অন্যদিকে যেসব ভাটিখানায় বিয়ার তৈরি করা হতো, সেগুলোর মালিক ছিল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জার্মান অভিবাসী বা তাদের বংশধররা। কাজেই অ্যালকোল তৈরি বা পান করা, সেটাকে 'আমেরিকা-বিরোধী' বলে চিত্রিত করা খুব সহজ ছিল। কিন্তু মদপান নিষিদ্ধ করার এই উদ্যোগ একেবারেই ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ শুরু থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ, বিশেষ করে যারা সচ্ছল এবং সুবিধাভোগী, তারা এই আইন একেবারেই মানতো না। এমনকি প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন হার্ডিং নিজেও নাকি হোয়াইট হাউজে প্রকাশ্যে মদ পরিবেশন করতেন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল মদ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি বেশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৯২০ এর দশকে নিউ ইয়র্কে জব্দ করা বিয়ার নর্দমায় ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে। অন্যদিকে যেরকম বেআইনিভাবে মদ কেনাবেচা হচ্ছিল তাতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করল। ১৯৩০ সালে ওয়াল স্ট্রীটের শেয়ার বাজারে ধস নামলো, শুরু হলো মহামন্দা। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েই প্রতিশ্রুতি দিলেন যে তিনি নির্বাচিত হলে মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। ১৯৩২ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার এক বছর পরই তিনি তুলে নিলেন এই নিষেধাজ্ঞা। তবে সেই বিফল চেষ্টার শত বছর পরও যুক্তরাষ্ট্রে কিছু মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখেন, কোন একদিন মদ আবার নিষিদ্ধ হবে। মদ্যপান নিষিদ্ধ করার পক্ষে সবচেয়ে সক্রিয় যে দলটি, সেই প্রহিবিশন পার্টির ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জিম হেজেস। তিনি ৫ হাজার ৬শ ভোট পান। এর আগে ২০১২ সালের নির্বাচনে পাওয়া ৫১৮ ভোটের চেয়ে অনেক বেশি, বলছেন তিনি। তবে মিস্টার হেজেস স্বীকার করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রে যদি আবার মদ্যপান নিষিদ্ধ করতে হয় জনমতে একটা পরিবর্তন আসতে হবে। তিনি বলেন, "যদি আমরা মানুষের সমর্থন ছাড়া উপর থেকে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেই, এটা আসলে কার্যকর করা যাবে না।"
যুক্তরাষ্ট্রে মদ নিষিদ্ধ করার একশো বছর: যেভাবেই এই উদ্যোগ বিফল হয়েছিল
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
অপরাহ উইনফ্রি'র সাথে সাক্ষাৎকারে মেগান ও হ্যারি। মার্কিন টিভি ব্যক্তিত্ব অপরা উইনফ্রি-র সাথে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, তিনি যখন সাহায্য চেয়েছেন তখন তিনি সেটি পাননি। তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ সময়টি ছিল যখন রাজপরিবারের এক সদস্য হ্যারিকে তাদের ছেলের গায়ের রং নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে "কতটা কালো" হতে পারে। প্রিন্স হ্যারিও বলেছেন যে তিনি যখন সরে আসতে চেয়েছিলেন, তখন তার বাবা প্রিন্স চার্লসও তার ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বহুল-প্রতীক্ষিত এই সাক্ষাৎকার যুক্তরাষ্ট্র সময় রাতে সম্প্রচারিত হয়েছিল। সিবিএস এর দুই ঘণ্টার এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি, যেটি যুক্তরাজ্যে সোমবার আইটিভিতে সম্প্রচারিত হবে সেখানে এই দম্পতি বিভিন্ন বিষয় যেমন বর্ণবাদ, মানসিক স্বাস্থ্য, গণমাধ্যমের সাথে তাদের সম্পর্ক এবং রাজপরিবারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান যে, আসছে গ্রীষ্মে তারা আবার বাবা-মা হতে যাচ্ছেন এবং এই সন্তানটি একটি মেয়ে। ২০২০ সালের মার্চে রাজ পরিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের পর এই দম্পতি ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত মাসেই তারা ঘোষণা দেন যে রাজপরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে তারা আর ফিরবেন না। 'আমাকে সুরক্ষা দেয়া হয়নি' মেগান বলেন, একসময় তিনি একাকী বোধ করতে থাকেন যখন তাকে বলা হয় যে, তিনি কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না। এমন এক সময় দাঁড়ায় যখন তিনি মাসের পর মাস বাড়ি থেকে বের হননি। অপরাকে তিনি বলেন, তিনি এক সময় ভাবতে শুরু করেন "এর চেয়ে বেশি একা হওয়া সম্ভব নয়।" অপরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, এক পর্যায়ে গিয়ে তিনি নিজের ক্ষতি করার বা আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন কিনা? উত্তরে মেগান বলেন: "হ্যাঁ। এটা খুব বেশি স্পষ্ট ছিল। খুব স্পষ্ট এবং ভয়ংকর। সেসময় বুঝতে পারছিলাম না যে কার কাছে যাবো।" মেগান বলেন, গর্ভবতী থাকা অবস্থায় হ্যারির সাথে রয়াল অ্যালবার্ট হলে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময়কার এক ছবির কারণে "আতঙ্কবোধ" করেছিলেন তিনি। "ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আগে সকালে হ্যারির সাথে এ নিয়ে আলাপ হয়েছিল আমার," মেগান বলেন। উইনফ্রি জিজ্ঞেস করেন: "যে আপনি আর বেঁচে থাকতে চান না?" "হ্যাঁ," মেগান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন যে, ওই রাতে তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন কারণ তিনি অনুভব করছিলেন যে, তিনি আর "একাকী" বোধ করতে চান না। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠানের সময় হ্যারি তার হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন। অপরা মেগানকে জিজ্ঞেস করেন যে, রাজ পরিবার কেন তার ছেলে আর্চিকে প্রিন্স ঘোষণা করেনি। ১৯১৭ সালের একটি আইনের কারণে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সের সন্তানরা স্বাভাবিকভাবেই প্রিন্স কিংবা প্রিন্সেস হবেন না, যদি না রানি কোন পদক্ষেপ নেন। মেগান বলেন, "আমার গর্ভবতী থাকার মাসগুলোতে আলোচনা চলছিল যে তাকে সুরক্ষা দেয়া হবে না, তাকে হয়তো কোন পদবি দেয়া হবে না এবং জন্মের পর তার ত্বক কতটা কালো হবে তা নিয়েও উদ্বেগ এবং আলোচনা চলেছে।" তিনি বলেন যে, এসব কথা হ্যারিকে বলা হয়েছিল এবং তার কাছ থেকেই তিনি এসব বিষয় জেনেছেন। অপরা জিজ্ঞেস করেন যে তার সন্তান যদি "বেশি বাদামি বর্ণের" হয় এবং তা নিয়ে কোন সমস্যা হবে কিনা-এ নিয়ে কোন উদ্বেগ তাদের ছিল কিনা। মেগান বলেন: "এটা যদি আপনার অনুমান হয়ে থাকে, তাহলে সেটি বেশ নিরাপদ অনুমানই মনে হচ্ছে।" এ ধরণের মন্তব্য কে করেছিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা জানাননি। তিনি বলেন: "আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য খুব ক্ষতিকর হবে।" হ্যারিও সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে অসম্মতি জানিয়ে বলেন: "ওই আলোচনা আমি কখনোই কাউকে বলবো না।" "সে সময়ে এটা বেমানান ছিল এবং আমি বিস্মিত হয়েছিলাম," তিনি বলেন। তিনি বলেন যে, গণমাধ্যমের কাছ থেকে মেগান যে ধরণের বর্ণবাদের শিকার হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে কোন স্বজনই মেগানের পক্ষে কথা বলতে এগিয়ে আসেননি। "ওই তিন বছরে আমার পরিবারের কেউই কোন কথা বলেনি। এটা কষ্টকর," হ্যারি বলেন। হ্যারি ও মেগানের সাক্ষাৎকারটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। সময়কাল •২০১৬ সালের গ্রীষ্ম: পরস্পরের পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে আয়োজিত ব্লাইন্ড ডেট-এ গিয়ে দেখা হয় হ্যারি এবং মেগানের। •২০১৮ সালের মে মাস: উইন্ডসর ক্যাসলে বিয়ে করেন এই দম্পতি। •২০১৯ সালের এপ্রিল: উইন্ডসর ক্যাসলের প্রাঙ্গণেই ফ্রগমোর কটেজে বসবাস শুরু করেন তারা। •২০১৯ সালের ৬ই মে: তাদের সন্তান আর্চি জন্ম নেন। •২০২০ সালের ৩১শে মার্চ: কানাডায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই বছরেই ক্যালিফোর্নিয়ায় যান তারা। •২০২১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি: এই দম্পতি ঘোষণা দেয় যে তারা দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন। •২০২১ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি: বাকিংহাম প্যালেস ঘোষণা দেয় যে, তারা রাজ পরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে ফিরে আসবেন না এবং তাদের অভিভাবকত্ব বাতিল করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারের সময় রাজপরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা ডিউক এবং ডাচেসকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। মেগান ওই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ের পর "সেটি আরো খারাপ হতে থাকে"। "আমি বুঝতে পারি যে শুধু আমাকেই সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে না তা নয়, বরং পরিবারের অন্য সদস্যদের সুরক্ষা দিতে তারা মিথ্যা বলতেও প্রস্তুত ছিল।" "কিন্তু আমি আর আমার স্বামীকে সুরক্ষা দিতে তারা সত্যিটা বলতেও ইচ্ছুক ছিল না।" তিনি একটি গুজবের উদাহরণ টেনে বলেন যে, ফ্লাওয়ার গার্লসদের পোশাক কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়ে মতামত দেয়ার সময় ডাচেস অব কেমব্রিজকে কাঁদিয়েছিলেন তিনি। এই গল্পটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় মুখরোচক গল্প হয়ে উঠেছিল বলে জানান তিনি। মেগান বলেন যে আসলে ঘটনাটি পুরো উল্টো ছিল। তিনি বলেন যে, ওই ঘটনার জন্য পরে ক্যাথরিন ক্ষমা চেয়েছিলেন। সাথে কিছু ফুল আর ছোট চিরকুট পাঠিয়েছিলেন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য। সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে অপরা আর স্ত্রীর সাথে যোগ দেয়ার পর হ্যারি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, তার দাদী, রানির সাথে তার সম্পর্ক খুবই ভাল। তারা দুজন প্রায়ই কথা বলেন। তবে তার বাবা প্রিন্স অব ওয়েলসের সাথে তার সম্পর্ক তেমন ভাল নেই। হ্যারি বলেন যে, তিনি তার বাবার বিষয়ে "আসলেই হতাশ" বোধ করেন। তিনি বলেন, তিনি তার বাবাকে সবসময়ই ভালবাসবেন কিন্তু "তিনি অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছেন।" প্রিন্স উইলিয়াম সম্পর্কে তিনি বলেন যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি "আসলেই ভিন্ন।" তিনি আরো বলেন যে, তার পরিবার তাকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করা বন্ধ করে দিয়েছে। হ্যারি তার ভাই আর বাবাকে রাজপরিবারের ব্যবস্থার "ফাঁদে আটকে পড়া" বলে উল্লেখ করেছেন। "তারা সেখান থেকে বেরুতে পারবে না" বলেন তিনি। প্রিন্স উইলিয়ামের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা দুজন "ভিন্ন পথে" রয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি এমন সময়ে প্রচার হলো যখন হ্যারি-র দাদা, ডিউক অফ এডিনবরা, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার শেষে এখন হাসপাতালে সেরে উঠছেন। যদিও সাক্ষাৎকারটি আগেই ধারণ করা হয়েছে। বিবিসির রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড বলছেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, এর প্রতিক্রিয়ায় প্যালেস কী বলবে। কিছু কিছু অভিযোগ এতো বেশি ব্যক্তিগত যে ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে না। তবে এই দম্পতি যে এখনো স্নেহধন্য সেটি রানি বারবারই স্পষ্ট করেছেন।
মেগান এবং হ্যারি সাক্ষাৎকার: 'আমি আর বেঁচে থাকতে চাইনি', বললেন ডাচেস
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
আড়তে তরমুজের অভাব নেই তবে দাম চড়া। সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র গরম এবং রমজানের কারণে বাংলাদেশে মৌসুমী ফল তরমুজের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। বাংলাদেশের সর্বত্র এখন খুচরা পর্যায়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক ক্রেতা আপত্তি জানাচ্ছেন। বর্তমানে খুচরা বাজারে তরমুজের কেজি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রির এই প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। এমন প্রেক্ষাপটে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাধারণ মানুষ যাতে 'ন্যায্যমূল্যে' তরমুজ এবং অন্যান্য ফল কিনে খেতে পারে সেজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে মাদারীপুর জেলায়। জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, সিন্ডিকেট করে যাতে বাজারে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর রয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী তরমুজসহ যে কোন ফল পিস্‌ হিসেবে ক্রয় করে কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না। মি. হাসান জানান, তরমুজের দাম নিয়ে মানুষের অভিযোগ বেশি। "এমন মানুষও আছেন, যারা আমাদের বলেছেন যে অত্যধিক দামের কারণে এ মৌসুমে তারা একটি তরমুজও কিনতে পারেনি। আমরা যেহেতু জনস্বার্থে কাজ করি সেজন্য মানুষের অভিযোগ আমলে নিয়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি," বলেন মি. হাসান। খালেদা জিয়া হাসপাতালে, তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন লকডাউনের প্রজ্ঞাপন 'আমি মুসলিম নই, কিন্তু আমি রোজা রাখি' মাদারীপুরে একটি তরমুজের বাজার। কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রির বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা রাজশাহীতে। মো. আরিফ হোসেন বলেন, "কেজিতে তরমুজ বিক্রি করার কিছুই নেই। যারা এগুলো করে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।" মো. বশির উদ্দিন উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, "৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে। একটি তরমুজ যদি ১০ কেজি হয় তাহলে দাম হয় ৬০০ টাকা।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, এভাবে হলে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষে কিভাবে তরমুজ কিনে খাবে? বাজারে দাম নজরদারি করার জন্য ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু আসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি না করে সেজন্য তাদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা শুধু তরমুজ নয়, সব পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তরমুজের 'ন্যায্যমূল্য' নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে। বরিশাল শহরে কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বেশ কিছু তরমুজ বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, আড়ৎ থেকে পিস্‌ হিসেবে তরমুজ কিনে খুচরা পর্যায়ে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা এক ধরণের প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন সে কর্মকর্তা। বিক্রেতারা কী বলছেন? রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন বলেছেন, তরমুজ পিস্‌ বা কেজি দুইভাবে বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের কোন সমস্যা নেই, দুটাই তাদের কাছে সমান। তিনি দাবি করেন, রাজশাহী অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয়। "তরমুজের দাম বাড়ার আসল কারণ হল গরম বাড়ার কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন কম হয়েছে"। "আমি গতকাল নাটোরের কয়েকটি জমি থেকে তিন গাড়ি মাল হবে আন্দাজ করে ১৩ লাখ টাকায় তরমুজ কিনে পরে দেখলাম সেসব জমির তরমুজে দুই গাড়ি ভর্তি করা গেল না। এখানে আমারে অন্তত আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি গুনতে হবে," বলেন শাহীন হোসেন। এদিকে মাদারীপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আড়ৎ থেকে পাইকারি তরমুজ পিস্‌ হিসেবে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এরপর খুচরা বিক্রেতারা সেটি কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন। "মাপে বেচলে টাকা বেশি পাওয়া যায়। আমরা ২৫০ টাকায় বেচি ছয়-সাত কেজি ওজনের তরমুজ। আর কেজি হিসেব বেচলে ঐটার দাম হয় ৩৬০ টাকা থেকে ৪১০ টাকা," বলেন আব্দুল মান্নান।
তরমুজ: 'ন্যায্যমূল্য' নিশ্চিত করতে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন।
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার টেকনাফসহ আশেপাশের এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে প্রায় দুইশোর মতো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। অনেক কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে এবং অনেক গাছও উপড়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন টেকনাফে বিশেষ দল পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে মহেশখালির স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব রোকন জানিয়েছেন, সকাল নাগাদ আবারো প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। সেখানে প্রচুর গাছপালাও উপড়ে গেছে। মহেশখালি ও মাতারবাড়িতে বেশিরভাগ বাড়িঘরই কাঁচাবাড়ি এবং এই ঝড়ে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হতাহতের কোন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ এবং টেকনাফে গভীর রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছিল। সেন্টমার্টিন্সে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার এবং টেকনাফে ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটার রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করে শাহপরীর দ্বীপ, মহেশখালী এবং কক্সবাজারের কিছু নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ। এসব বেড়িবাঁধের অনেকগুলোই গতবছর ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে । উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ঘূর্ণিঝড় মোরা'র প্রভাবে উপকুলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামেও প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র ১০নং মহাবিপদ সংকেতের পর এখনও পর্যন্ত সারাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় তিন লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। আরো পড়ুন: কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোরা ঘূর্ণিঝড় মোরা: আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ, বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর কক্সবাজারের ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোরা
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন।
সফল হবার জন্য পরিকল্পনা জরুরী কিন্তু সফল আর জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত নারী বলছেন জীবনে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে পারলে তা যে কাউকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। ১. সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে। যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না। এক্ষেত্রে নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে বলছেন নামকরা অভিনেত্রী এমা থম্পসন। সফল হতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জরুরী এরপরই আসবে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা। তাদের জীবনের দৈনন্দিন খবরাখবর রাখুন। "যদিও হয়ত রোজ এ কাজটি করা কঠিন, তবু চেষ্টা করুন।" এর পর শুরু করুন নিজের কাজ। ২. সামনে এগিয়ে যাওয়া থামাবেন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের নিজেকে সবসময় পর্বতারোহী মনে করেন। "একজন পর্বতারোহী যখন ওপরে উঠতে থাকেন, তিনি পিছলে পড়েন, দুই তিন ধাপ নিচে নেমে যান। কিন্তু ওপরে ওঠা থামান না তিনি। আমি সেরকম, পিছলে পড়ি কিন্তু ওপরে ওঠা থামাই না আমি, কোনদিন থামাবও না।" ৬০ ও ৭০ এর দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা কাজ করেছেন পোশাক কারখানায়। অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এডিথের বাবা মায়ের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, তিনি বেঁচে যান। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেন। "মানুষ আমাকে মারতে পারবে, অত্যাচার চালাতে পারবে। কিন্তু আমার আত্মা আর এগিয়ে যাবার চেতনা কেউ শেষ করে দিতে পারবে না।" ৩. অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং লেখক জো ব্রান্ড বলছেন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই। কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। "আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে। আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়।" "আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।" "আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না। এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।" ৪. দৃষ্টিভঙ্গি বদলান অনেক সময়ই কোন খারাপ মুহূর্তে আমরা ভাবি আমাদের কবর হয়ে গেছে, বা আমরা ডুবেছি। কিন্তু সেটা অন্যভাবে ভাবা যায়, যেমন আমরা ভাবতে পারি নতুন কোন কিছুর বীজ বোনা হয়েছে। অভিনেত্রী কেলেসি ওকাফর বলছেন, "আমার স্থির বিশ্বাস, আপনাকে আসলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি নিজের জীবন বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করেন। ইতিবাচকভাবে দেখার অভ্যাস করা দরকার আমাদের।" দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে ইতিবাচক হিসেবে দেখুন ব্যর্থতাকে। "ডুবে যাওয়া বা বীজ বোনা---দুটোই কিন্তু মাটি বা পানির নিচে হচ্ছে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রে দুই রকম মানে হয়, একটায় অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। অন্যটায় ইতিবাচক একটা মনোভাব বোঝা যায়, যা আপনার চিন্তা প্রক্রিয়ায় ছাপ ফেলে।" "আমার জীবনে এমন অনেক মুহূর্তআছে যখন আমার মনে হয়েছে আমি মরে গেছি, কিন্তু সেসব মুহূর্তেই আবার আমি নতুন করে সব শুরু করেছি।" ৫. ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন বিপণন গুরু বলে পরিচিত মেরি পোরটাস বলছেন, কারো চারপাশে যদি ইতিবাচক মানুষ সব সময় থাকে, তাহলে নিজের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকার কথা নয় তার। "আমার এজেন্সিতে আমরা এমন মানুষ নিয়োগ দেই, যারা আলো ছড়ান চারপাশে, যারা অন্যকে হীনমন্যতায় ডুবিয়ে দেন তাদের নয়।" তিনি বলছেন, "যারা সব সময় সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকেন, সব কাজ 'পারব' বলে রাজি হয়ে যান ও সেটা পাবার জন্য নিজের সেরাটা দেন এমন মানুষ পছন্দ আমাদের।" "যারা নিজেরা এনার্জিতে ভরপুর থাকেন, তারা অন্যকেও উৎসাহ দিতে পারেন। যদি উন্নতি করতে চান, তাহলে যারা মনমরা থাকেন বা অহমপূর্ণ আচরণ করেন তাদের থেকে দূরে থাকুন।" ৬. মাথা খাটান অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের বলেন, যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। "আমার মা বলতেন আমরা কোথায় যাব জানি না, আমাদের জীবনে কী ঘটবে আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরে কী আছে সেটা যেমন অন্যরা জানে না, তেমনি সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতেও পারবে না।" "আমি অ্যামেরিকায় এসেছি শূন্য হাতে, ইংরেজি জানতাম না। কিন্তু দেখুন আমি এই দেশের একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাস করেছি। আমি সবাইকে বলি মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মাথা খাটানোর ক্ষমতা।" ৭. নিজেকে মাঝে-মধ্যে ছুটি দিন মার্কিন লেখক মেশেল লোরি বলছেন, একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়। আর সফল না হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। "আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদের সবকিছু পারতে হবে। আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে। কিন্তু আমাদের তো বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার জন্যেও সময় চাই।" "নিজের ভেতরকার শূণ্যতা পূরণের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাথে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যেও তো অবসর লাগে।" সেটা দিনের শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে, আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কী কী কাজ করলেন, কেমন ভাবে করলেন, আরো ভালোভাবে কিভাবে করা যেত। এই সময়ে ফোন ঘাটা বাদ দিয়ে, টিভি না দেখে কেবলই নিজেকে কিছুটা সময় দিন। ৮. ব্যর্থতা জীবনের শেষ কথা নয় কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ। বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা 'কমা' মানে স্বল্প বিরতি, 'ফুলস্টপ' বা শেষ নয়। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লিলি কলিন্স বলছেন, "আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু 'নেতিবাচক' হওয়া মানে সেটা 'না' হয়, বরং সেটা হচ্ছে 'এখন নয়'।" এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।
ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার যে আট পরামর্শ দিচ্ছেন বিখ্যাত নারীরা