instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মেসির পাঠানো জার্সি গায়ে মুরতাজা আহমাদী কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তান নিজের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে সাত বছর বয়সী এই বালককে। প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে মেসির জার্সি বানিয়ে তা পরিধান করে মুরতাজা আহমাদীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো ২০১৬ সালে। পরে কাতারে তার স্বপ্নের নায়কের সাথে সাক্ষাতও হয়েছিলো, যে ঘটনায় রীতিমত তারকা বনে গিয়েছিলো ছোটো মুরতাজা নিজেও। কিন্তু এখন তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন তালেবানের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাদের। বিশ্বজুড়ে কাছিম পাচারের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ঢাকা 'প্রতিদিন আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি' ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া আফগানিস্তানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় গজনী প্রদেশে বসবাস করছিলো মুরতাজার পরিবার। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে তারা এখন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কাবুলে। এর আগে ২০১৬ সালেও তারা পাকিস্তানে স্বল্পমেয়াদে শরণার্থী সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলো। কিন্তু পরে অর্থ শেষ হয়ে পড়ায় দেশে ফিরে আসে তার পরিবার। আর এবার পরিস্থিতি কেমন হয় সেটা এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা। পলিথিন দিয়ে মেসির জার্সির বানিয়ে পরে বিখ্যাত হয়েছিলো এই বালক পলিথিন দিয়ে মেসির জার্সি আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির মহাভক্ত এই মুরতাজা। জার্সি কেনার সামর্থ্য নেই, তাই পলিথিন কেটে জার্সি বানিয়ে তার ওপর মেসির নাম ও জার্সি নাম্বার লিখে পরিধান করেছিলো মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। পরে সেই জার্সি পরা তার ছবি কেউ একজন পোস্ট করে সামাজিক মাধ্যমে। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে আর লোকজনও তাকে 'ছোটো মেসি' ডাকতে শুরু করে। আর এ খবর পৌঁছায় লিওনেল মেসি পর্যন্ত। ইউনিসেফের মাধ্যমে তিনি নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি পাঠান তাকে। পরে বার্সা তারকা যখন ২০১৬ সালে দোহাতে যান প্রীতি ম্যাচ খেলতে তখন মুরতাজাকে মেসির সাথে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে প্রিয় তারকার সাথে কিছুটা হাটার সুযোগও পায় এই বালক। এখন কাবুলে সপরিবারে বাস করছে তার পরিবার তালেবান হুমকি মুরতাজার পরিবার বলছে এই বিখ্যাত হওয়ার কারণেই তালেবানদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে মুরতাজা। তার মা শাফিকা বলছেন, "ওরা বলছে তোমরা ধনী হয়ে গেছো। মেসির কাছ থেকে যা টাকা পেয়েছো তা আমাদের দাও। নাইলে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাবো"। তিনি বলছেন বাড়ি থেকে আসার সময় তারা কিছুই সাথে নিতে পারেননি, এমনকি মেসির কাছ থেকে পাওয়া জার্সিটাও।
ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোরগোল ফেলেছিলো এক আফগান বালক।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
জেলার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানডেট বলেছেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতটা শিশুকে উদ্ধার করেছে কিন্তু ১০টা শিশু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মারা গেছে"। মহারাষ্ট্রের ভানদারা ডিসট্রিক্ট হসপিটালে ঐ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল বাহিনী আসার আগে কর্তৃপক্ষ সাতটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনাকে "হৃদয়বিদারক ট্রাজেডি" বলে বর্ণনা দিয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে আগুন ধরে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে কারণ হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে বার বার বিস্ফারণ হচ্ছে। একজন নার্স বলেছেন, তিনি নবজাতকদের কেয়ার ইউনিটে ধোঁয়া দেখে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। জেলার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানডেট বলেছেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতটা শিশুকে উদ্ধার করেছে কিন্তু ১০টা শিশু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মারা গেছে"। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন তার "কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না"। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন তিনি 'গভীরভাবে শোকাহত"। ভানদারা নাগপুর থেতে ৬২ কিমি দুরে। উত্তর-পূর্বের নাগপুর শহর মহারাষ্ট্রের অন্যতম জনবহুল শহর। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল টুইটার বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাবেন না ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে
ভারতের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি নবজাতক পুড়ে মারা গেছে। শনিবার ভোর রাতে এই অগ্নিকাণ্ড হয়।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা। কথিত এই `গোপন বৈঠক` হয়েছে এই ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে, বিএনপির যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ঐ 'গোপন বৈঠক' হয়েছে ২০শে নভেম্বর রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের দিকের একটি সম্মেলন কক্ষে। পুলিশ ও প্রশাসনের কোন কোন কর্মকর্তা সেই বৈঠকে ছিলেন, তার একটি তালিকাও দেন মি. রিজভী। ঐ বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার একটি সার-সংক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি। একজন সচিবের বক্তব্য যে সব কর্মকর্তার নাম করেছেন মি. রিজভী দিয়েছেন, তাদেরই একজন বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মো মহিবুল হক বিবিসিকে বলেন, তাদের ব্যাচ-মেটদের মেলামেশাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে। বিবিসির শাহনাজ পারভিনকে সচিব মহিবুল হক বলেন, "আমরা ব্যাচ-মেটরা মাঝে মধ্যে একসাথে বসি, ভবিষ্যতেও বসবো। এটাকে পলিটিসাইজ করার কিছু নেই।" প্রশাসন ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা গোপনে বৈঠক করেছে - রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি কী বলেছেন বিএনপি নেতা বিএনপির যুগ্ম-সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঐ 'গোপন বৈঠকে' একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৩টি সিট নৌকার 'কনফার্ম আছে' এবং ৬০-৬৫ টিতে কনটেস্ট হবে, বাকী আর কোনো সম্ভাবনা নেই। "কাজেই সাংঘাতিক কিছু করা ছাড়া এটি উৎরানো যাবে না।" বিএনপি নেতা আরো দাবি করেন, ঐ 'গোপন বৈঠকে' সিদ্ধান্ত নেয়া হয় - 'নির্বাচন কমিশন থেকে বিএনপি-ফ্রন্টকে চরম অসহযোগিতা করা হবে, যতই চাপ দেয়া হোক প্রশাসনে হাত দেয়া যাবেনা, ধরপাকড় বাড়ানো হবে, প্রার্থী গুম খুন করে এমন অবস্থা তৈরি করা হবে যাতে তারা নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়।' কোন সূত্রে তারা এই 'গোপন বৈঠকের' কথা জেনেছেন, বিবিসির এই প্রশ্নে তিনি বলেন, "সবসময় সোর্স তো বলা যায়না। বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা তা জানতে পেরেছি।।' তিনি বলেন, শুধু একটি বৈঠকই নয়, নির্বাচনকে সরকারের অনুকূলে প্রভাবিত করতে 'দলবাজ' কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৈঠকে করছেন। মি রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশাসন এবং পুলিশের এরকম কিছু কর্মকর্তার তালিকা তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছেন না। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সবসময় প্রশ্ন ওঠে। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার কাছে উত্তরা এলাকায় বিএনপি একজন নেতার অফিসে ঊর্ধ্বতন কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠক নিয়ে সেসময় তুমুল হৈচৈ হয়েছিল। খবরের সাথে পত্র-পত্রিকায় তখন ছবি ছাপা হয়েছিল, মুখ ঢেকে সরকারি কিছু কর্মকর্তা উত্তরা ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। বিএনপি মিথ্যাচারী দল- মাহবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ কী বলছে অফিসার্স ক্লাবে কয়েকজন কর্মকর্তার 'গোপন বৈঠকের' অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। "বিএনপি একটি মিথ্যাচারী দল। তাদের এসব মিথ্যাচারকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।" "অতীতেও তারা নানা-সময় মিথ্যাচার করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ'র সাথে খালেদা জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ নিজেই সে ধরণের কোনো টেলিফোন আলাপের কথা অস্বীকার করেন। মার্কিন একজন সেনেটরের সই নকল করে তারা বিবৃতি দিয়েছিল।" "তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে প্রমাণ দিক, আদালতে যাক, নির্বাচনে কমিশনের কাছে অভিযোগ করুক।"
বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচন প্রভাবিত করার কৌশল ঠিক করতে প্রশাসন ও পুলিশের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে ঢাকায় গোপনে এক বৈঠক করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
তামাক গাছ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির উপায় বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, প্রাকৃতিক উপায়ে সালোকসংশ্লেষণের ক্ষেত্রে কিছু বাধা রয়েছে যা ঐ গবেষকরা অতিক্রমের উপায় খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আর এর ফলে শস্য উৎপাদনের হার অনেক বেড়ে যাবে। তাদের বিশ্বাস এই পদ্ধতি চাল বা গমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা যাবে। এই গবেষণাটি বিজ্ঞান সাময়িকী 'সাইন্স'এ প্রকাশিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব বুঝেই গবেষকরা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে এই দ্রুত উৎপাদনের বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। আরো পড়ুন: শস্য থেকে জ্বালানি: হুমকিতে পড়বে খাদ্য নিরাপত্তা? হাজার কোটি টাকার সবজি নষ্ট হচ্ছে ভারতে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস এই পদ্ধতি চাল বা গমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা যাবে। যেভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি? ২০০৫ সালের তুলনায় এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এসে কৃষির চাহিদা ৬০% থেকে ১২০% পর্যন্ত বেড়ে যাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তার বিপরীতে যদি ফসল উৎপাদনের হার বছরে বছরে দুই শতাংশ কমতে থাকে তবে ২০৫০ সাল নাগাদ বড় ঘাটতি দেখা যেতে পারে। সার, কীটনাশক এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে গত কয়েক দশক ধরে ফলন বৃদ্ধি পেলেও ভবিষ্যতে তার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে আসছে। পরিবর্তে বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটিয়ে শস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো দিকে মনোযোগী হয়েছেন। উদ্ভিদ সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানি থেকে শর্করা উৎপাদন করে, যা তার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এইসব রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে কিছু বিষাক্ত পদার্থও উৎপন্ন হয় যা ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনাকে সীমিত করে। উদ্ভিদ এই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে যে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয় সেটিকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলে ফটো রেসপিরেশন নামে এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু এক্ষেত্রে উদ্ভিদ আর মূল্যবান শক্তি ব্যয় করে ফেলে যা কিনা তার ফল উৎপাদনে ব্যবহার হতে পারতো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: খুদে বার্তায় বিচ্ছেদের খবর জানবেন সৌদি নারীরা বিরোধী দলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে জাপা? বিশ্বের অর্থনীতি বদলে দিতে পারে যে আবিষ্কারগুলো ভারত ও চীনের সাথে কিভাবে ভারসাম্য করছে সরকার এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার সেই সীমাবদ্ধতা কাটানো উপায় নিয়েই কাজ করেছেন। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক মার্কিন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ড. পল সাউথ বলেছেন, "আমরা গাছের শক্তির ব্যবহারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে সংক্ষিপ্ত করার লক্ষ্যে তিনটি ভিন্ন বায়োকেমিক্যাল পদ্ধতিতে কাজ করেছি।" তামাক গাছে জৈব প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এমন ব্যবস্থা করেছেন যাতে সেটি স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০% বড় হতে পারে "অনুমান করা যায় যে, সয়াবিন, ধান, ফল এবং সবজির ক্ষেত্রে এটি করতে পারলে এসবের উৎপাদন প্রায় ৩৬% বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমরা উদ্ভিদের শক্তির ব্যবহারের এই শর্টকাট পদ্ধতি নিয়ে প্রযুক্তিগত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এবং মাঠে অন্তত ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সফলতা পেয়েছি।" কেন তামাক গাছ বেছে নেওয়া? এই গবেষণাটির আরেকটি দিক হল - উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা অঞ্চলে এই পদ্ধতি কতটা ব্যবহার উপযোগী। গবেষকরা এই পরীক্ষার জন্যে শুরুতে তামাক গাছ বেছে নেন কারণ এই উদ্ভিদটি সহজে সংশোধন করা সম্ভব। আর তাদের গঠন অন্য অনেক খাদ্য শস্যের সাথে মিলে যায়। গবেষক দলটি তাদের গবেষণা থেকে পাওয়া শিক্ষা এখন সয়াবিন, ধান, আলো এবং টমেটো গাছের ওপর প্রয়োগের আশা করছে। "আমরা সত্যি সত্যিই আশা করছি যে, এটি এমন একটি প্রযুক্তি হবে যা কৃষিতে বাইরে থেকে প্রয়োগ করা বিষয় কমাবে এবং কম জমিতে আরো বেশি উৎপাদনে সহায়তা করবে," বলছিলেন ড. সাউথ। দেশী শস্য বাঁচাতে বীজ ব্যাংক তৈরি করেছেন যে ভারতীয় নারী এরপরও এই গবেষকরা স্বীকার করছেন যে, জিনগত পরিবর্তন প্রক্রিয়া বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই বিতর্কিত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্য ও ফসল বিকশিত হয় তবে কৃষক ও ভোক্তারা এটিকে গ্রহণ করবে। আর এমনটি একটি দীর্ঘ পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করেন। সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্ষুদ্র চাষিদের জন্যে রয়্যালটি মুক্তভাবে বিতরণের জন্যে এই পদ্ধতিটি আরো উন্নত করা হচ্ছে।
একটি তামাক গাছে জৈব প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এমন ব্যবস্থা করেছেন যাতে সেটি স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০% বড় হতে পারে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির চমকপ্রদ সাফল্যের পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে সিইবিআর এর এই রিপোর্টে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স এন্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের সর্বশেষ এক রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১' নামের এই রিপোর্টটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, তারই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী আর মাত্র ৭ বছর পর পরেই চীন হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৩০ সালে ভারত হবে তৃতীয়। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ উপরে উঠে পৌঁছে যাবে ২৫ নম্বরে। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সিইবিআর বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক ওলট-পালট ঘটে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকার বেশিরভাগ বড় অর্থনীতির দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর বিপরীতে চীন খুব কৌশলে করোনাভাইরাস দ্রুত এবং কঠোরভাবে মোকাবেলার কারণে সামনের বছরগুলোতে পৌঁছে যাবে বেশ সুবিধেজনক অবস্থানে। করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও সামনের বছরগুলিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জোরালো প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। চীন যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে, সেটাকে সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সিইবিআর বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হয়েছে। আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকে ৫ বছর আগেই ২০২৮ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। মন্দা এড়াতে সাফল্য চীনের মতোই একইভাবে বাংলাদেশও যেহেতু করোনাভাইরাসের মধ্যেও কিছুটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, তাই সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধারাবাহিক এবং জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশা করছি সিইবিআর। সিইবিআর তাদের রিপোর্টে বলছে, কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভালো। এবং এটা ঘটেছে দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও। গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে গড়ে ১ শতাংশ হারে। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় কোভিড-১৯ যেভাবে ছড়িয়েছে, সে তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ অনেক সীমিত রাখা গেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ৭ হাজার ৫২ জন। প্রতি এক লাখে মাত্র ৪ জন। যদিও এই মহামারির কারণে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ছিল সীমিত, তা সত্ত্বেও অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে এটি। কারণ মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদা গিয়েছিল কমে আর আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। জিডিপির হিসেবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান (তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১, সিইবিআর) তবে অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা এড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। সিইবিআর এর পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০২১ সাল হতে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। তবে এর পরের দশ বছরে এই হার কিছুটা কমে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। সিইবিআর বলছে, ২০২০ হতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি আছে ৪১ নম্বরে। কিন্তু ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে ২৫তম অর্থনৈতিক শক্তি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩৯ ডলার। এই হিসেবটা পিপিপি বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিকে হিসেবে নিয়ে করা। বাংলাদেশকে এখন একটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ বলে গণ্য করা হয়। সামনের দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেক চমকপ্রদ সাফল্যের উদাহারণ হবে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের নাটকীয় উত্থান সিইবিআর এর সূচক অনুযায়ী বিশ্ব অর্থনীতিতে এখনো এক নম্বর শক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে চীন এবং জাপান। প্রথম দশটি দেশের তালিকায় এরপর ক্রমান্বয়ে আছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং কোরিয়া। ২০৩৫ সাল নাগাদ এই প্রথম দশটি দেশের তালিকা থেকে ঝরে যাবে ইতালি, কানাডা এবং কোরিয়া। তাদের স্থলে প্রথম দশটি দেশের তালিকায় ঢুকবে ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং রাশিয়া। ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায় যুক্ত হবে তিনটি নতুন দেশ: ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভিয়েতনামের অবস্থান হবে ১৯, ফিলিপাইনের ২২ এবং বাংলাদেশের ২৫। ২০৩৫ সালে বিশ্বের ২৫টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশ: (তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১, সিইবিআর) এর মধ্যে বাংলাদেশের উত্থানকেই সবচেয়ে নাটকীয় বলতে হবে। বর্তমান র‍্যাংকিং ৪১ থেকে বহু দেশকে টপকে বাংলাদেশ পৌঁছাবে ২৫ নম্বরে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৪১। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৩৪। এর পাঁচ বছর পর ২০২৩০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০৩৫ সালে ঢুকবে প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায়। আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চমকপ্রদ সাফল্যের নেপথ্যে কী বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল বাংলাদেশের অর্থনীতি যে নয়টি খাতে পিছিয়েছে যেসব অর্থনীতিকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে তার মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, নরওয়ে, আর্জেন্টিনা, ইসরায়েল, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নাইজেরিয়া, বেলজিয়াম, সুইডেন, ইরান এবং তাইওয়ান। বর্তমান বিশ্ব সূচকে এই দেশগুলো বাংলাদেশের উপরে, কারণ তাদের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে বড়। তবে মনে রাখতে হবে, এই সূচক তৈরি করা হয় কেবলমাত্র কোন দেশের অর্থনীতির জিডিপির আকার দিয়ে। মানুষের মাথাপিছু আয় বা জীবনমান এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়। আর বাংলাদেশ যেহেতু খুবই জনবহুল একটি দেশ এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ জনসংখ্যা আরও বাড়বে, তাই পেছন ফেলে যাওয়া দেশগুলোর তুলনায় অনেক দিক থেকেই বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানে তখনো অনেক পার্থক্য থাকবে। সিইবিআর এর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন:
বাংলাদেশ এখন যে ধরণের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কর্নেল তাহের ও জিয়াউর রহমান। দলটিকে নিয়ে আলোচনা যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে অন্তত এক দশক রাজনীতির মোড় ঘুরানো নানা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা ছিল দলটির। প্রতিবছর যখনই ৭ই নভেম্বর আসে তখন আলোচনার কেন্দ্রে আসে জাসদ এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর অভ্যুত্থান জাসদের পরিকল্পনায় হলেও এর পুরোপুরি সুফল পেয়েছেন তখনকার সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। জাসদের প্রতিষ্ঠার সময় ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব করা। সেজন্য তারা চেয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে। ১৯৭৪ সালে জাসদ তাদের চিন্তাধারা তৈরি হলো, "আন্দোলন মানে সশস্ত্র সংগ্রাম আর সংগঠন মানে সেনাবাহিনী।" সেজন্য জাসদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে বিপ্লবী গণবাহিনী। এছাড়া সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৯৭৩ সালে থেকে কাজ করছিল বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। হত্যাকারী সেনা সদস্যদের সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতাসীন হবার পর জাসদ সাইড-লাইনে চলে যায়। এরপর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানের পর জাসদ আবারো তৎপর হয়ে উঠে। সে ঘটনার প্রতিক্রিয়ার আরেকটি অভ্যুত্থান হয় ৭ই নভেম্বর, যার মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। ৭ই নভেম্বর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানকে সফল করার জন্য কাজ করেছে জাসদের আওতাধীন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। ১৯১৭ সালে সোভিয়েত বিপ্লবের মতোই কাজ করতে চেয়েছিল জাসদ। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় তখন দুটো পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। একদিকে জিয়াউর রহমান এবং অন্যদিকে জাসদ। বিশ্লেষকদের মতে ক্ষমতার দৌড়ে জিয়াউর রহমানের কাছে পরাজিত হয় জাসদ। জাসদের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি মনে করেন, ৭ই নভেম্বরের পর জিয়াউর রহমানের পেছনে যখন সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেল তখন জাসদ ছিটকে গেল। মি: আহমদ বলেন, জাসদ তখন সাংগঠনিক-ভাবে প্রস্তুত ছিল না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও জাসদকে সমর্থন দেয়নি। হাসানুল হক ইনু যদিও জাসদের জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো জাসদকে সমর্থন না দিয়ে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দিয়েছে। জাসদ নেতারা এখনো অকপটে স্বীকার করেন যে ৭ই নভেম্বর 'অভ্যুত্থানের সুফল' তারা কাজে লাগাতে পারেননি। জিয়াউর রহমানের 'বিশ্বাসঘাতকতার' কারণেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন জাসদের একটি অংশের নেতা হাসানুল হক ইনু। "সামরিক শাসনের রাজনীতি পুনরায় চাপিয়ে দেবার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়, আমরা পরাজিত হই," বলছিলেন মি: ইনু। তখনকার সময় যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল তাদের সমর্থন পুরোপুরি জিয়াউর রহমানের পক্ষে গেল। তিনি রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে কাজেও লাগিয়েছেন। "ক্ষমতার লড়াইয়ে জাসদ হেরেছে জিয়া জিতে গেছে," বলছিলেন মহিউদ্দিন আহমদ। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরে খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থান এবং এরপর প্রতিক্রিয়ায় আবারো ৭ই নভেম্বরের অভ্যুত্থান। একের পর এক এসব ঘটনায় তখন বিচলিত ছিল দেশের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ তখন চেয়েছিল দেশের স্থিতাবস্থা। বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পরে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত যে পুরো পাল্টে গেছে সেটা জাসদ বুঝতে পারেনি। লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "জাসদের আবেদনটা ছিল মধ্যবিত্তদের তরুণদের মাঝে। মধ্যবিত্তরা তখন চেয়েছিল স্থিতাবস্থা। তারা কোন গোলমাল চায়নি। এবং জিয়া তখন দেশের ভেতরে এক ধরণের স্থিতিশীলতা দিতে পেরেছিল।" জাসদ কখনো উশৃঙ্খল রাজনীতি করেনি বলে দাবি করেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, "বিশেষ পরিস্থিতিতে মাঝে-মাঝে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে, কিন্তু জাসদের মৌল কৌশল ছিল গণতান্ত্রিক রাজনীতি"। বিশ্লেষকরা বলছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবকে তিনি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু জাসদ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে পারেনি। সেজন্যই জাসদ রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে গেছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি নয়, জাসদই উঠে আসতে পারতো বলে অনেকের ধারণা। বিষয়টিকে আংশিক সত্যি বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে - "সামরিক শাসকরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এবং পাকিস্তানপন্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানপন্থার সমর্থকদের সমর্থন আদায় করে নেয়।" "জাসদ বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরোধী শক্তি হিসেবে যখন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াইটা ৭০'র দশকের শেষের দিকে শুরু করে, তখন কার্যত আওয়ামী বিরোধী জায়গাটা জাসদ কিছুটা হারিয়ে ফেলে।" মি: ইনু এখনো মনে করেন, জাসদ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দুর্বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু রাজনীতিতে তারা কোন ভুল করেননি। তবে জাসদ নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশর রাজনীতিতে জাসদ এখনো প্রাসঙ্গিক। হাসানুল হক ইনু বলেন, "জাসদের রাজনীতির জন্য শনি হচ্ছে সামরিক শাসন। এবং সামরিক শাসকদের পাকিস্তানপন্থা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি।" "জাসদের উপর সীমাহীন অত্যাচার, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি, আমাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড - অনেকটা আমাদেরকে ধাক্কা মেরে তিন-চার নম্বরে ফেলে দেয়," বলছিলেন হাসানুল হক ইনু। তিনি মনে করেন, জাসদকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন পরিকল্পনা হচ্ছে না। আরো খবর: ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ বার্লিন দেয়াল পতন যেভাবে বদলে দিয়েছিল পৃথিবী ক্যান্সার: 'আমার আত্মীয়রা মনে করতো এটা ছোঁয়াচে' কালো শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে বিদ্রোহের আগুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ একটি আলোচিত, সমালোচিত কিংবা অনেকের কাছে বিতর্কিত নাম।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন গণহত্যার হারে ভারতে মেয়ে ভ্রণ হত্যা চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্রূণগুলো মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। অবৈধ উপায়ে গর্ভপাত করাতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই ভ্রূণগুলো খুঁজে পান বলে কর্মকর্তারা বলছেন। ভারতের আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করছে যে শত প্রচারণা সত্ত্বেও ভারতে মেয়ে ভ্রূণ হত্যা চলছেই। সাঙলি জেলার পুলিশ সুপার দাতাত্রে শিন্ডে বলছেন, "মনে হচ্ছে একটি চক্র এসব গর্ভপাত ব্যবসার সাথে জড়িত। আমরা মৃত মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছি এবং পলাতক ডাক্তারকে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।" তবে ফেলে দেয়া ভ্রূণ আবিষ্কারের এটাই প্রথম ঘটনা না। ২০১২ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে আটটি, এবং ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্রে ১৫টি মেয়ে শিশুর ভ্রূণ আটক করা হয়। ছেলে সন্তানের কামনায় ভারতে দম্পতিদের মধ্যে মেয়ে ভ্রূণ হত্যা করার প্রবণতা রয়েছে। সরকার একে নিষিদ্ধ করেছে।।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুলিশ এক হাসপাতালের কাছে এক গর্তের মধ্যে গর্ভপাত করা ১৯টি মেয়ে শিশুর ভ্রূণ খুঁজে পেয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
উইগুর স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চলের শহর ইনিং-এর একটি মসজিদ। পাশে রেস্টুরেন্ট। সন্ত্রাসবাদ দমনের দোহাই দিয়ে যাদের আটক রাখা হয়েছে জাতিসংঘ অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমানকে বিভিন্ন বন্দীশিবিরে আটক রাখা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর জাতিসংঘ এই আহ্বান জানায়। বেইজিং কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে যে কিছু 'ধর্মীয় উগ্রপন্থীকে', তাদের ভাষায়, 'নতুন করে শিক্ষা' দেয়ার জন্য আটক রাখা হয়েছে। ঐ প্রদেশে যে গোলযোগ চলছে তার জন্য চীন সরকার ইসলামপন্থী জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে থাকে। শিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমচির একটি দোকান। আরো পড়তে পারেন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের 'আমি তো সেদিন পুলিশের হাতে জিম্মি ছিলাম' বিড়াল পালন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ যে গ্রামে এ মাসের গোড়াতে বর্ণবাদ বিলোপের ওপর জাতিসংঘের এক কমিটি বলেছে, তাদের হাতে একটি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে যাতে বলা হয়েছে, "চীনা কর্তৃপক্ষ পুরো উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে একটি বিশাল আকৃতির কারাগারে পরিণত করেছে।" এর জবাবে চীন বলেছে, উইগুররা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে তারা সাধারণত যেটা করে না, এবারই তারা স্বীকার করেছে যে: "ধর্মীয় উগ্রপন্থায় যারা প্রতারিত হয়েছে, তাদের জন্য সরকার পুনর্বাসন এবং নতুন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করছে।" অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের কাছে তাদের প্রমাণ জমা দিয়ে বলেছে যে, বিপুল সংখ্যক মুসলমানকে বন্দীশিবিরগুলিতে আটক রাখা হচ্ছে এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস তার রিপোর্টে বলছে, লোকজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হচ্ছে এবং তারা ব্যাপকভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ বন্দীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা জানা যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও নেই বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। উইগুরদের মুক্তির দাবিতে তুরস্কে বিক্ষোভ।
জাতিসংঘ বলছে, চীনে লাখ লাখ উইগুর মুসলিমকে ধরপাকড়ের খবরে তারা উদ্বিগ্ন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
রোজিনা ইসলামকে আজ বেলা এগারোটার দিকে আদালতে তোলা হয়। এরপর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করা হয়েছিল। রোজিনা ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকেও জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তবে পুলিশের রিমাণ্ড আবেদন নিয়ে শুনানির পর আদালত তা নামঞ্জুর করে এবং মিজ ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মিজ ইসলামের পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, জামিন আবেদনের ওপর আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় মামলা করা হয় গত রাতে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে আজ সকাল আটটার দিকে আদালতে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত বসেছিল ১১টার দিকে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির চেষ্টা ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে তাকে পাঁচ ঘণ্টার মতো আটকে রাখা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাকে গলা চেপে ধরে রেখেছেন সচিবালয়ের এক নারী কর্মকর্তা। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে করা মামলায় রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পরে যান। এর পর রাত আটটার দিকে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সচিবালয় থেকে ঢাকার শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে সেখান থেকে বের করে এনে সরাসরি তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন। রাতে শাহবাগ থানার সামনে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীরা অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত মধ্যরাতের দিকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে চুরির অভিযোগে এবং ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য নানা সময়ে আলোচিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং বয়কট রোজিনা ইসলামকে নিয়ে কি ঘটেছে সেটি জানাতে আজ সকাল ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাকা এক প্রেস ব্রিফিং বয়কট করেছে স্বাস্থ্যখাত এবং সচিবালয় বিটে কাজ করা সাংবাদিকরা। এই ব্রিফিং বয়কটের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ হেলথ রিপোটার্স ফোরাম। তারা ব্রিফিং-এ উপস্থিত হয়ে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রিফিং কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এসময় উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের বসার আহবান জানান। তবে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেন এবং সবাই বের হয়ে যান। সম্পর্কিত খবর: খবর চেপে যাওয়া কী শুধু সরকারের চাপে নাকি মালিকদের স্বার্থেও? গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন? সাংবাদিক ও পাঠকের চোখে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাত কী পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি: 'সিন্ডিকেটের হাত কত লম্বা?'
বাংলাদেশে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে রিমাণ্ডে নেয়ার জন্য পুলিশের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইরাকের সামরিক বাহিনী বলছে বুধবার রাতে দেশটিতে ২২ টি মিসাইল আঘাত করেছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের মিসাইল হামলায় আমেরিকার কোন প্রাণহানি হয়নি। তাহলে ইরান কি ইচ্ছে করেই ক্ষতি করতে চায়নি? ইরানের ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসীদের দখল এবং মার্কিন আগ্রাসী বাহিনীর বিমানঘাঁটি ধ্বংস করতে আল-আসাদে দশটি মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। আল আসাদের এই ঘাঁটি থেকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আমেরিকার সামরিক তৎপরতা চলে। ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মার্কিনীদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ফতেহ-৩১৩ এবং কিয়াম মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন বাহিনী এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের একগুচ্ছ মুখ রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। মুম্বাইতে জেনারেল কাসেম সুলেমানির স্মরণে পথ-সভা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন সোলেইমানি হত্যা ট্রাম্পকে নির্বাচনে সহায়তা করবে? ঝুলে থাকা তার আর খুঁটিবিহীন শহর হচ্ছে সিলেট বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফেরত দেবে না ইরান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের মিসাইল হামলায় আমেরিকার কোন প্রাণহানি হয়নি। যে দুটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে মি: ট্রাম্প বলেন, আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এছাড়া আগাম সতর্ক সংকেত বেশ ভালোভাবে কাজ করেছে তিনি বলেন। মি: ট্রাম্প বলেন, "মনে হচ্ছে ইরান ক্ষান্ত দিয়েছে।" যদিও আমেরিকার একজন শীর্ষ সামরিক জেনারেল মার্ক মিলে বলেছেন, এ হামলা মারাত্মক হতে পারতো। তাঁর ব্যক্তিগত পর্যালোচনা হচ্ছে, ইরান কাঠামোগত ক্ষতি করতে চেয়েছিল। এছাড়া যানবাহনের ক্ষতি সাধন, যন্ত্রপাতি, বিমানের ক্ষতি সাধন এবং সৈন্যদের হত্যা করতে চেয়েছিল। মিসাইল কোথায় আঘাত করেছে? ইরাকের সামরিক বাহিনীও বলেছে যে মিসাইল হামলায় কোন প্রাণহানি হয়নি। বুধবার রাত ১:৪৫ মিনিট থেকে ২:১৫ মিনিটের ইরাকে ২২টি মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে। একটি মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ থেকে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মিডলবারি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জন্য কিছু স্যাটেলাইট ছবি নিয়েছে প্ল্যানেট ল্যাব নামে একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। এসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে আল-আসাদ ঘাঁটিতে পাঁচটি জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। মিডলবারি ইন্সটিটিউটের একজন বিশ্লেষক বলছেন, যেসব জায়গায় মিসাইল আঘাত করেছে তার কয়েকটি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো আল-আসাদ ঘাঁটির কেন্দ্রে। এটা পরিষ্কার যে কিছু মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারেনি। ইরাকের সামরিক বাহিনী বলছে, আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে যেসব মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে দুটি মিসাইল ঘাঁটির বাইরে পড়েছে এবং সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। এসব মিসাইলের কিছু ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। ইরাকের সামরিক বাহিনী বলছে, উত্তরাঞ্চলের কুর্দিস্তান এলাকায় অবস্থিত ইরবিল ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাঁচটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে ইরবিল ঘাটিতে কয়টি মিসাইল আঘাত করেছে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, দুটি মিসাইল সিদান নামক একটি গ্রামে পড়েছে। একটি যুদ্ধের সম্ভাবনায় শঙ্কিত মানুষজন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোওলের মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করছেন। এই গ্রামটি ইরবিল শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। তৃতীয় মিসাইলটি ইরবিল শহরের ৪৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম পড়েছে। ইরান কি ক্ষতি এড়াতে চেয়েছে? মার্কিন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, তারা বিশ্বাস করে ইরান ইচ্ছে করেই ক্ষতির মাত্রা সীমিত রাখতে চেয়েছে। ইরান একদিকে তাদের সংকল্প দেখাতে চেয়েছে এবং অন্যদিকে আমেরিকার ক্ষতি করা এড়িয়ে গেছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়। পেন্টাগন-এর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএন সাংবাদিক জ্যাক টেপার বলেন, " ইরান ইচ্ছে করেই টার্গেট নির্ধারণ করেছে যাতে প্রাণহানি না হয়।" অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার নাগাদ জানতো যে ইরান হামলা করতে পারে। তবে কোথায় হামলা করবে সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত ছিলনা। মার্কিন গোয়েন্দারা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আমেরিকার সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কের পেন্টাগন সংবাদদাতা ডেভিড মার্টিন বলেছেন, হামলা বেশ আগেই তারা সতর্কবার্তা পেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী সৈন্যরা বাঙ্কারে চলে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছিল। মার্কিন সূত্রগুলো বলছে, স্যাটেলাইট সিগন্যাল এবং ইরানের কমিউনিকেশন সিস্টেমে আড়ি পাতার মাধ্যমে এই সতর্কবার্তা পাওয়া যায়। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে নজরদারীর ক্ষেত্রেও আমেরিকা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এ কর্মকর্তা মনে করেন, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্যই ইরান হামলা করেছে। ইরান ইচ্ছে করে ক্ষতি করতে চায়নি - এ ধারণার সাথে একমত নন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এ কর্মকর্তা। "আমাদের কর্মকাণ্ডের কারণেই আমেরিকানদের জীবন রক্ষা পেয়েছে," বলেন সে কর্মকর্তা। প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলেন- ইরান ইচ্ছে করেই ক্ষতি করতে চায়নি নাকি তাদের মিসাইলের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি হয়নি - এটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মিসাইল নিক্ষেপ করা সঠিক জায়গায় আঘাত করা একটি বিপদজনক বিষয়। মি: মার্কাস বলেন, আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের যে মিসাইল আঘাত করেছে সেগুলোর বেসামরিক স্যাটেলাইটের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে। সুতরাং ক্ষতি কম হবার বিষয়টি সৌভাগ্যক্রমে ঘটেছে বলে মনে করেন মি: মার্কাস।
কাশেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ইরান বলেছিল যে হামলাকারীদের চড়া মূল্য দিতে হবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সাবহানাজ রশীদ দিয়া সাবহানাজ রশীদ দিয়া নামের এই কর্মকর্তাকে সোমবার একটি অনলাইন মিটিংয়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর তার কাজ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে প্রায় চার কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। এটি যেমন ব্যক্তিগত যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি ব্যবসার প্রয়োজনেও অনেকে এই মাধ্যমটিকে ব্যবহার করেন। এছাড়া, বাংলাদেশে ফেসবুকের নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ বিষয়ক একজন কর্মকর্তা হিসেবে সাবহানাজ রশীদের নিয়োগকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রথম তথ্যটি প্রকাশ করেন। যদিও গত এপ্রিল মাস থেকেই তিনি এই পদে কাজ করছেন, তবে সোমবারই তাকে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশে ফেসবুকের পক্ষে জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর জানিয়েছে, সাবহানাজ রশীদ দিয়া ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছেন। ''বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক রক্ষা করাসহ এনজিও ও আই-এনজিও, টেক কোম্পানি এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে ফেসবুকের সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো তিনি দেখবেন,'' বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে বেঞ্চমার্ক পিআর। ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল টিমের একজন সদস্য হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া। বাংলাদেশ বিষয়ক একজন কর্মকর্তা হিসেবে কী ধরণের কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছিল ফেসবুকের বিজ্ঞাপনে। 'পাবলিক পলিসি ম্যানেজার স্থানীয় ভাষা, জননীতি এবং বিধিবিধান বিশ্লেষণ করে দেশটি সম্পর্কে তথ্য যোগানের প্রথম কাজটি করবেন। সেসব তথ্যের ভেতর ওই দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক গভীর পর্যবেক্ষণ থাকবে, যার ভিত্তিতে ওই দেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিসহ সরকার, এনজিও, অ্যাকাডেমিয়া, শিল্প, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন শাখার গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে।'' দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টরের কাছে তিনি রিপোর্ট করবেন। ফেসবুক আরও জানিয়েছিল, পাবলিক পলিসি ম্যানেজার এমন একটি টিমের সদস্য হিসাবে কাজ করবেন, যাদের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, উম্মুক্ত ইন্টারনেট, ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, নতুন নতুন বিভিন্ন পক্ষের সম্পৃক্ততা তৈরিতে করতে কাজ করতে হবে। আরো পড়ুন: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুকে যেভাবে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকজন বিদেশি বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারে ভয় কেন? যেভাবে ফেসবুক বা ইউটিউবে নজরদারি করবে সরকার বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে ফেসবুকের বাংলাদেশে পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী, এই পদে থেকে তাকে যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে: * প্রযুক্তি, সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সমাজের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, এমন দেশীয় নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা * নীতিনির্ধারক, সরকার, তদারকি কর্তৃপক্ষ, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পক্ষ এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে বৈঠকে ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করা * দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি টিমের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে এমন কর্মসূচি তৈরি করা, যা সমাজের সব স্তরে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা এবং এ ব্যাপারে আস্থা গড়ে তুলবে * ফেসবুকের পলিসি প্রোগ্রাম টিমের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, ছোট ব্যবসা ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশভিত্তিক পাবলিক পলিসি তৈরি করা * কোম্পানির ভেতর পণ্য, বাজারজাতকরণ এবং যোগাযোগ টিমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা, যাতে প্রধান নীতি অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হয় * অ্যাডভোকেসি টিম, অ্যাকাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি সংগঠনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা * ফেসবুকের প্রধান নীতিগুলোর ব্যাপারে সবার কাছে ফেসবুকের অবস্থান তুলে ধরা। বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী অনেক বেড়েছে, ব্যবসা বেড়েছে সামাজিক মাধ্যম বিষয়ক গবেষক ড. নাসিম মাহমুদ জানাচ্ছেন যে অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের সরকার চাইছিল, ফেসবুক যেন বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখার জন্য বাংলাভাষী কাউকে নিয়োগ দেয়। "কারণ ফেসবুকের অনেক বিষয়ে সরকারের বক্তব্য থাকে, আপত্তি থাকে, সেগুলো যেন অ্যাড্রেস করা হয়। সেই কারণেই ফেসবুক এই নিয়োগ দিয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। এখানে তিনি আসলে একটা পয়েন্ট অব কন্ট্রাক্ট হিসাবে কাজ করবেন।'' বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ''একদিকে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী অনেক বেড়েছে, দেশটিতে ব্যবসা বেড়েছে। আবার ফেসবুকের অনেক কন্টেন্ট নিয়ে সরকারের আপত্তি আছে, বিভিন্ন সময় সেটা তারা জানিয়েছে। সেটাও অ্যাড্রেস করার ব্যাপার আছে।" "সেই সঙ্গে ফেসবুকের পক্ষ থেকেও একজন কাউকে দরকার, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারগুলো দেখবেন। মূলত এই তিনটি কারণেই বাংলাদেশে পাবলিক পলিসি ম্যানেজারের নিয়োগটা দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি,'' বলছিলেন নাসিম মাহমুদ। সাবহানাজ রশীদ দিয়া বাংলাদেশের বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কেলেতে পড়াশোনা করেন। এক সময় রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসাবেও ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্প, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনেও কাজ করেছেন বলে তার লিঙ্কডইন প্রোফাইলে উল্লেখ করেছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সীমান্তে 'উস্কানিমূলক' গুলি ছুঁড়েছে ভারত, দাবি করছে চীন বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন আমীর ঘোষণার খবর, সত্যতা নিয়ে সংশয় জামাল খাসোগজিকে হত্যায় অভিযুক্তদের সাজা বদলে দিল সৌদি আদালত মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী ?
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পানি ভর্তি গুহার ভেতরে একটি কার্নিশের মতো খাঁজে বসে আছে ১৩ জনের দলটি এই ১৩ জন গুহার ভেতরে এমন এক জায়গায় আছে যে তাদের উদ্ধার করতে কয়েক মাস পর্যন্ত লাগতে পারে - বলছে সেদেশের সেনাবাহিনী। থাইল্যান্ডের আটকে পড়া ফুটবল টিমের খেলোয়াড়দের চিত্রণ। তাদের বের করে আনার সম্ভাব্য উপায়গুলো কি? ১. ডুবুরি "এটা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে করা সম্ভব। কিন্তু এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক" - বিবিসিকে বলছিলেন আনমার মির্জা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের কেভ রেসকিউ কমিশনের সমন্বয়ক। গুহায় আটকা পড়া কিশোররা কেউই প্রশিক্ষিত ডুবুরি নয়। তারা সাঁতারও জানে না। গুহাটির মধ্যে এমন জায়গায় এই কিশোররা রয়েছে - যে পেশাদার ডুবুরিদের গুহার প্রবেশপথ থেকে সেখানে পৌঁছাতে কয়েক ঘন্টা লেগেছে। পথটা জায়গায় জায়গায় খুবই সরু। তা ছাড়া তাদের সহায়তা করতে সার্বক্ষণিকভাবে পাম্প করে বন্যার পানি সরাতে হয়েছে। কেভ রেসকিউ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইউসিআরআরও-র সমন্বয়ক এড সোরেনসন বলেছেন, "এটা খুবই বিপজ্জনক পন্থা এবং একেবারে শেষ উপায় ছাড়া তিনি এটা বিবেচনা করবেন না। সেখানে চোখে কিছু দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় অনভ্যস্ত কেউ ভয় পেয়ে নিজে মারা যেতে পারে বা উদ্ধারকারীদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।" ডুবুরিদের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ২. ড্রিলিং কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেছে ড্রিলিং মেশিন দিয়ে পাহাড়ের গায়ে ছিদ্র করে গুহার ভেতরের বন্যার পানি বের করে দিতে। কিন্তু শক্ত পাথরের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু পাহাড় ফুটো করে আটকে পড়া কিশোরদের উদ্ধার করতে যাবারও অনেক ঝামেলা আছে। প্রক্রিয়াটা শুরু করতে হলেও নতুন রাস্তা তৈরি করতে হবে - যাতে ভারী ড্রিলিংএর যন্ত্রপাতি সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। তা ছাড়া তার আগে পাহাড়টার একটা জরিপ করতে হবে, কারণ যে গর্তটা করা হবে তা যেন আটকে পড়া লোকেরা যেখানে আছে সেখানে গিয়ে শেষ হয়। তা না হলে তাদের উদ্ধারের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। "এটা শুনতে সহজ শোনালেও কাজটা খুবই কঠিন। প্রায় খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো।" - বলছিলেন মি. মির্জা। চলছে ড্রিল মেশিন দিয়ে পাহাড়ের গায়ে গর্ত করার চেষ্টা আটকেপড়াদের শারীরিক অবস্থা কেমন? চিয়াং রাইয়ের গভর্নর নারোংসাক ওসোত্থানাকন বলেছেন, তারা গুহাটি থেকে পানি বের করার কাজ অব্যাহত রাখবেন, এবং গুহার ভেতরে ডাক্তার ও নার্স পাঠাবেন যাতে তারা ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারেন। ডাক্তাররা যদি বলেন যে তাদের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো আছে, এবং তাদের নড়াচড়া করানো যাবে, তাহলে আমরা তাদের বের করে নিয়ে আসবো। মি. মির্জা বলছিলেন, নয় দিন ধরে খাবার ছাড়া আটকে থাকা এই লোকদের স্বাস্থ্য একটা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়, এবং তাদের উদ্ধারকাজের ওপরও এটা প্রভাব ফেলবে। ঘটনাস্থলে তৈরি করা হয়েছে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল চিয়াং রাই প্রদেশের পাহাড়ি গুহাটির ভেতর এমনভাবে পানি ঢুকে পড়েছে যে তাদের সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার পথটি পুরোপুরি ডুবে গেছে। আর ১৩ জনের ফুটবল দলটি সেই গুহার মধ্যে একটি শুকনো কার্নিশের মতো জায়গায় বসে আছে। নয় দিন নিখোঁজ থাকার পর দলটিকে সোমবার খুঁজে পায় ব্রিটিশ উদ্ধারকারী ডুবুরিদের একটি দল। উদ্ধারকর্মীরা ও সেনাবাহিনী বলছে, দলটি এমন জায়গায় আটকা পড়ে আছে যে গুহার বাইরে আসতে হলে তাদের ডুবুরির মতো পানির নিচ দিয়ে সাঁতরানো শিখতে হবে, অথবা কয়েক মাস গুহার মধ্যেই অপেক্ষা করতে হবে - যতদিন পানি নেমে না যায়। সেনাবাহিনী বলছে, তাদেরকে হয়তো আগামী চার মাস ধরে বাইরে থেকে খাবার পাঠাতে হবে। আরো পড়ুন: 'গুহায় আটকাপড়া থাই দলটির বেরুতে কয়েকমাস লেগে যাবে' গুহায় আটকে পড়লে কী করতে হবে? থাইল্যান্ডের ফুটবল দলকে অবশেষে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে
থাইল্যান্ডে একটি গুহায় আটকে পড়া ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচকে জীবিত পাবার পর এখন তাদের কিভাবে বাইরে বের করে আনা যাবে তার বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করছেন উদ্ধারকারীরা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী মাদ্রাসার 'শোকরানা মাহফিলে' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বামে) ও হেফাজতে ইসলামের নেতা আহমদ শফী (ডানে)। হেফাজতে ইসলামের নেতা আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্যে এবং প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান বিশেষ গুরুত্ব পায়। আহমদ শফীর সভাপতিত্বে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ 'শোকরানা মাহফিলে' কওমি মাদ্রাসাগুলোর হাজার হাজার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যোগ দেন। কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন শেখ হাসিনাকে "কওমী জননী" উপাধী দেন। এ সংবর্ধনার আয়োজন করে কওমী মাদ্রাসাগুলোর একটি সংগঠন আলহাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতুল কাওমিয়া বাংলাদেশ। আমার বক্তব্য নিয়ে অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার করার অবকাশ নেই: আহমদ শফী আলহাইয়াতুল ওলিয়াতিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অন্যতম সদস্য বেফাকুল মারারিসিল আরবিয়ার সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমীন আল্লামা শফীর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। লিখিত বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে "আন্তরিক শুকরিয়া এবং মোবারকবাদ" জানানো হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি যাতে না করা হয় সে ব্যাপারে নজর রাখার কথা বলা হয়। বক্তব্যে আহমদ শফী বলেন, "আমাকে ও হেফাজতে ইসলাম কে নিয়ে সোশাল মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে।" "কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সোশাল মিডিয়া বা ব্যক্তিবিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হবার জন্য" তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আরো পড়ুন: 'শোকরানা মাহফিলের রাজনৈতিক বার্তা নেই' বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় পড়ছে কারা? মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কেন পরিবর্তন আনা হচ্ছে "আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোন প্ল্যাটফর্ম বা দলের সাথে আমার এবং হেফাজতে ইসলামের নীতিগত কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।" এসময় উপস্থিত যারা ছিলেন তারা সমস্বরের তার এই বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেন। "মনে রাখবেন মুসলমানদের ঈমান আকিদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের মূল লক্ষ্য। হেফাজতে ইসলামের নীতি ও আদর্শের ওপর আমরা অটল এবং অবিচল আছি।" লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, "আমার কর্মকৌশল এবং সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। আমার বক্তব্য এবং বিবৃতিকে কেন্দ্র করে অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার করার অবকাশ নেই।" ওলামাদের নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। সারা দেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এখানে যোগ দেন অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না: শেখ হাসিনা এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যেও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়টির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সোশাল মিডিয়ায় নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হয়। এই অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না্। "অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি এ ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার করে তাহলে এ আইন দ্বারা তাদের বিচার করা হবে, গ্রেফতার করা হবে।" "এবং আমাদের ধর্ম ইসলাম ধর্ম এবং নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কেউ কোন কথা বললে আইন দ্বারাই তার বিচার হবে।" এসময় সমাবেশ থেকে বিপুল হর্ষধ্বনি করা হয়। শেখ হাসিনা তখন বলেন, আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেবো না। আইনের দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেব যাতে তারা কখনো অপপ্রচার চালাতে না পারে। দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাই না ।" শেখ হাসিনা তার ভাষণের একেবারে শেষ দিকে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গও তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন "... আপনাদের দোয়া চাই, সামনে নির্বাচন আছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি ইচ্ছা করেন নিশ্চয়ই আবার বাংলাদেশের জনগণের খেদমত করবার সুযোগ আমাকে দেবেন, আর যদি আল্লাহ না চান - দেবেন না, আমার কোন আফসোস থাকবে না।কারণ আমি এ সব কিছু আল্লাহর ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।" শুধু আমন্ত্রিতরাই সমাবেশস্থলে ঢুকতে পেরেছেন এর আগে তার ভাষণের শুরুর দিকে শেখ হাসিনা বলেন, "১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাই ৭৭ সালে কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি বন্ধ করে দিয়েছিল।" "আমরা যে শিক্ষানীতিমালা ঘোষণা করেছি, সেই নীতিমালায় আমরা ধর্মীয় শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি" - বলেন প্রধানমন্ত্রী। "যখন বলা হল দাওরায়ে হাদিস মাস্টার্স ডিগ্রীর সমমর্যাদা পায় আমরা কিন্তু সেটা করে দিলাম পার্লামেন্টে আইন পাশ করে। কারণ আইন পাশ না করলে এটার বাধ্যবাধকতা থাকতো না।," বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, "আজকে আমরা করে দিলাম, আবার অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলে ওই ৭৭ সালের মত বন্ধ করে দিতে পারে। সেটা যাতে বন্ধ করতে না পারে সে জন্য আমরা এটা করেছি।" এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে আজ ঢাকায় যে সমাবেশ হয়ে গেল - তাতে প্রধান বক্তাদের ভাষণে অন্যতম দিক ছিল 'সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম অপপ্রচারের' কড়া সমালোচনা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রানওয়ের দুই পাশে গভীর উপত্যকা রয়েছে। এ বিমানবন্দরটি ভারতের শততম বিমানবন্দর । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার এ বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানে অবস্থিত। এ রাজ্যের সাথে তিব্বত, ভুটান এবং নেপালের সংযোগ রয়েছে। সিকিম রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এ বিমানবন্দরটি অবস্থিত। পেকং গ্রামে এ বিমানবন্দর অবস্থিত। চীনের সীমান্ত থেকে এ বিমানবন্দরটির দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ ফুট উঁচুতে ২০১ একর জায়গায় উপর পেকং গ্রামে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১.৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ের দুইপাশে গভীর উপত্যকা রয়েছে। বিমানবন্দরটিতে দুটি পার্কিং বে এবং একটি টার্মিনাল ভবন রয়েছে। একসাথে ১০০ যাত্রী ব্যবস্থাপনা করা যাবে এখানে। বিমান বন্দর যে জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে সেখানকার মাটি যাতে না ভাঙ্গে সেজন্য চারপাশে দেয়াল দেয়া হয়েছে। একদিকে প্রাকৃতিক গঠন এবং অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ বিমানবন্দর নির্মাণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পুরো কাজ শেষ করতে নয় বছর সময় লেগেছে। প্রকৌশলীরা বলছেন বিমান বন্দর নির্মাণে সময় প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল দুটি। প্রথমত; রানওয়ে তৈরির সময় মাটির কাজ করা এবং দ্বিতীয়ত; পর্বতের সরু রাস্তা দিয়ে মালামাল বহন করা। এ বিমান বন্দর তৈরি করতে নয় বছর সময় লেগেছে। সিকিম অঞ্চলে বর্ষাকাল থাকে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এ সময়টিতে নির্মাণ কাজের অনেক ব্যাঘাত হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য ভূমি এবং ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি থাকার কারণে নির্মাণ কাজে বাড়িত চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। বিমানবন্দরের চারপাশে গভীর উপত্যকা থাকার কারণে নিচ থেকে বিমানবন্দরের ভূমি পর্যন্ত ২৬৩ ফুট উঁচু দেয়াল দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি অনেকের নজরে আসবে। বিমানবন্দর নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় কোম্পানি জানিয়েছে এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দেয়ালগুলোর অন্যতম। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এ বিমানবন্দরটিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইট কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হবে। আরও পড়তে পারেন: যেসব বিমানবন্দর এবং সংস্থা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংস্কার করা হবে নেপালের ঝুঁকিপূর্ণ ত্রিভুবন বিমানবন্দর ফিলিস্তিনে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক বিমানবন্দর। ১৯৯৮ সালে এটি চালু হয়েছিল। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের চিত্র। আশা করা হচ্ছে, এ বিমানবন্দরটি সিকিমের পর্যটন খাতকে আরো এগিয়ে নেবে। সিকিম অঞ্চলে বেশ কিছু উঁচু পর্বতের চূড়া, হিমবাহ এবং লেক রয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম-এ নবনির্মিত বিমানবন্দরটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই টেলিফোন আলাপে ডেমোক্র্যাট দল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চাওয়া জো বাইডেন এবং তার ছেলের ব্যাপারে তদন্তের জন্য মি. ট্রাম্প চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর মার্কিন কংগ্রেসে ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা। ফোন কলের তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদামির যেলেনস্কির টেলিফোন কথোপকথন গোপনীয় একটি ইলেকট্রনিক স্থানে রাখার কারণ আসলে জাতীয় নিরাপত্তা নয়, বরং রাজনৈতিক। তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে ওই টেলিফোন আলাপ গোপনীয় হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপরে সেটি চরম-গোপনীয় বলে তালিকাভুক্ত করা হয়, যা শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির দেখার বা শোনার সুযোগ আছে। তথ্য ফাঁসকারী ব্যক্তির মতে, এর ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, এটার রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা যে শুধু জানতেনই, তা নয়, বরং তারা মার্কিন সরকারের অন্যদের কাছে থেকে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচকরা বলছেন, ওই কলের উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাজি করানোর চেষ্টা করা যাতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত করেন। যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ হয় এবং হোয়াইট হাউজের কর্মীরা যাবতীয় চিহ্ন মুছে ফেলতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সহকারীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই টেলিফোন আলাপের ব্যাপারে আলাদা করে কিছু ঘটেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মগুলো কী? আরো পড়ুন: ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার, বিতর্কে মোদী ২০১৭ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপের সময় কর্মকর্তারা নোট নিচ্ছেন কে শুনতে পারে টেলিফোন আলাপ? রীতি অনুযায়ী, বিদেশি কোন নেতার সঙ্গে টেলিফোন আলাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। এরপরে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে কথা বলেন, তখন ওই কর্মকর্তারা ওভাল অফিসে বসে থাকেন। ইউএসএ টুডের তথ্য অনুযায়ী, এনএসসির কমপক্ষে দুইজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এ সময় হোয়াইট হাউজের আরেকটি গোপনীয় কক্ষে কর্মকর্তারা বসে ওই টেলিফোন আলাপ শুনবেন এবং নোট নেবেন। তাদের এই নোটকে বলা হয় 'মেমোর‍্যান্ডাম অফ টেলিফোন কনভারসেশন' এবং হোয়াইট হাউজের আরো অনেক জিনিসের মতো একে সংক্ষেপে বলা হয় মেমকন। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনালাপ বিস্তারিত বর্ণনা তৈরি করা হয়। হোয়াইট হাউজের সাবেক কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, যে কর্মকর্তা টেলিফোন আলাপের নোট নেন, তার সঙ্গে কম্পিউটারের বর্ণনা মিলিয়ে দেখা হয়। কর্মকর্তার নোট এবং কম্পিউটারের ট্রান্সক্রিপ্ট পরবর্তীতে একটি ফাইলে সংযুক্ত করে রাখা হয়। হয়তো এই ট্রান্সক্রিপ্ট পুরোপুরি নিখুঁত হয় না, তবে যতটা সম্ভব যত্ন আর সতর্কতার সঙ্গে এটি তৈরি করা হয়। তথ্যফাঁসকারী ওই ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী, মি. যেলেনস্কির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনালাপ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন অন্তত এক ডজন ব্যক্তি, যারা ওই আলাপ শুনতে পেয়েছেন। সাবেক এনএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে টেলিফোন আলাপ শুরুর একেবারে আগে আগে ব্রিফিংয়ের জন্য কর্মকর্তাদের ডাকা হয়। যাদের সেখানে ডাকা হয়, তাদের দক্ষতাও একই রকম নয়। অনেক সময় শেষ মুহূর্তে ফোন কল শুনতে বলা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা' যৌতুক: নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলাদেশে কেন টিকে গেলো? হোমিওপ্যাথির স্পিরিট খেয়ে নোয়াখালিতে ছয়জনের মৃত্যু হাত ধোয়া চালু করতে গিয়ে হেনস্থা হয়েছেন যে চিকিৎসক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের জের ধরে ইমপিচমেন্ট তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের জের ধরে ইমপিচমেন্ট তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরাটেলিফোন আলাপের গোপনীয়তা-চরম গোপনীয়তা কীভাবে নির্ধারিত হয়? যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) নির্বাহী সচিবের অফিসে যারা কাজ করেন, সেই কর্মকর্তারা ঠিক করেন যে একটি টেলিফোন আলাপের গোপনীয়তার মাত্রা কী হবে, বলছেন সাবেক একজন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তা। যদি টেলিফোন আলাপের বর্ণনায় এমন তথ্য থাকে, যার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বা কোন ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে, তাহলে সেটি চরম গোপনীয় বলে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং বিশেষ সংরক্ষিত স্থানে সেটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ওবামা প্রশাসনের সময় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য গণতন্ত্র বিষয়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা অ্যান্ডু মিলার, যিনি এই গোপনীয়তার ধাপগুলো সম্পর্কে পরিচিত হয়ে ওঠেন। মি. মিলার বলছেন, কেন কিছু টেলিফোন আলাপকে সবচেয়ে বেশি গোপনীয়তার তকমা দেয়া হয়। কিন্তু, তার মতে, মি. ট্রাম্প এবং মি. যেলেনস্কির আলাপের মধ্যে এমন কিছু নেই, যেজন্য সেটাকে চরম গোপনীয় বলা যেতে পারে। ''ওই আলাপকে চরম গোপনীয় হিসাবে তালিকাভুক্তির কোন কারণ আমি দেখি না,'' বলছেন মি. মিলার। ''একমাত্র রাজনৈতিক কারণেই এটা করা হয়েছে।'' টেলিফোন আলাপ 'চরম গোপনীয়' তালিকাভুক্ত করা হলে কী ঘটে? কোন টেলিফোন আলাপকে 'চরম গোপনীয়' মাত্রা দেয়া হলে সেটা শুধুমাত্র মার্কিন সরকারের শীর্ষ কয়েকজন ব্যক্তি দেখার সুযোগ পাবেন, যাদের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি রয়েছে। সাবেক কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করে বলছেন, জয়েন্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেলিজেন্স কমিউনিকেশন সিস্টেম নামের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব ট্রান্সক্রিপ্ট সংরক্ষণ করা হয়, যেখানে শুধুমাত্র ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে কর্মরত লোকজন প্রবেশ করতে পারে। এসব তথ্য যদিও বিশেষ একটি স্থানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার অস্বাভাবিক পাহারা থাকে না। যেসব টেলিফোন আলাপ শুধুমাত্র 'গোপনীয়' হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, সেগুলোর বিষয় সম্পর্কে কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করতে পারেন। তবে অবশ্যই শুধু তারাই আলাপ করতে পারেন, যারা সরকারে কাজ করে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার আগে শপথ করছেন এই ঘটনায় কি গোপনীয়তার নিয়ম মানা হয়েছে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শদাতারা বলছেন, এই টেলিফোন আলাপে কোন সমস্যা নেই-সুতরাং ট্রান্সক্রিপ্টের ব্যবস্থাপনা নিয়েও কোন প্রশ্ন নেই। তারা তথ্য ফাঁসকারীর দাবি জোরালো ভাবে নাকচ করে দিচ্ছেন। কিন্তু অন্যরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টেলিফোন এবং সেটি ঘিরে গোপনীয়তা প্রমাণ করছে যে, এখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ''নিরাপত্তা গোপনীয়তার বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে জীবন রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে,'' বলছেন ওবামা প্রশাসনের সময় হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা ব্রেট ব্রয়েন। ''হঠাৎ করে যদি সেটা রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক অবস্থানকে রক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করে, তাহলে আর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গোপনীয় কোন গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা থাকবে না।'' এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত মি. মিলার। তিনি বলছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বসের টেলিফোন আলাপের বিস্তারিত গোপনীয় করে রাখার মানে হলো এই পদ্ধতিটি বাজে ভাবে ব্যবহার করা। যারা হোয়াইট হাউজে কাজ করেন, তাদের একটি শপথ নিতে হয় যে, তারা প্রেসিডেন্টকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে সমুন্নত রাখবেন। ''আপনার প্রাথমিক আনুগত্য দেশির প্রতি হওয়া উচিত- কোন ব্যক্তির প্রতি নয়।'' তিনি বলছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন কল যিনি প্রকাশ করেছেন, তার দাবি, ওই ফোন কলটি যেভাবে অস্বাভাবিক গোপনীয়তার সঙ্গে সামলানো হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে, এ ধরণের ফোন কল কীভাবে নজরদারি করা হয় এবং কতটা গোপনীয় রাখা হয়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, এসব হামলা সত্ত্বেও তারা উত্তেজনা বৃদ্ধি চান না। ইসরায়েল বলছে, গোলান মালভূমি এলাকায় তাদের সামরিক ফাঁড়িগুলোর ওপর ইরানী বিপ্লবী গার্ডের শাখা কুদস বাহিনী অন্তত ২০টি রকেট হামলা চালানোর পর তার জবাবেই তাদের এ আক্রমণ। ইসরায়েল বলছে তারা অনেকগুলো ইরানী লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়েছে - যার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা অস্ত্রের গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থল এবং গোয়েন্দা কেন্দ্র। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগডর লিবারম্যান বলেছেন, সিরিয়ার ভেতরে ইরানের যতগুলো স্থাপনা ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই আঘাত হেনেছে দেশের সামরিক বাহিনী । সিরিয়ান সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। ইরানের দিক থেকে এসব হামলার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয় নি। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে সাহায্য করতে ইরান সেদেশে সৈন্য পাঠিয়েছে। সিরিয়ার দেরা শহরের আকাশে দেখা যাচ্ছে সরকারি বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ ইসরায়েল আরো বলেছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও হামলা চালানো হয়, কারণ ইসরায়েলের ভাষায় তারা সতর্ক করে দেয়া সত্বেও গুলিবর্ষণ করেছিল। সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, কিছু ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। দামেস্কের অধিবাসীরা শহরের আকাশে অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েল বলছে তাদের সব যুদ্ধবিমানই নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। ইসরায়েল মনে করে ইরান তাদের অন্যতম শত্রু। কিছুদিন আগে থেকেই ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে যে সিরিয়ার ভেতরে ইরানকে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে দেয়া হবে না। কে আগে হামলা চালিয়েছিল? অধিকৃত গোলান হাইটস এলাকায় ইসরায়েলি ট্যাংক ইসরায়েলি বাহিনীর একজন মুখপাত্র লে. জেনারেল কনরিকাস বলেছেন, কুদস্ বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির আদেশে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলানে রকেট হামলা চালানো হয়। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছে, কুনেইত্রা প্রদেশ এবং দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের গ্রামগুলো থেকেন অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয় - অধিকৃত গোলান এলাকা লক্ষ্য করে। কিন্তু কারা ওই রকেট হামলা চালায় তা চিহ্নিত করে নি এই সংস্থাটি, তবে বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী বাথ নামে একটি সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত শহরে বোমাবর্ষণের পর ওই রকেট হামলা চালানো হয়। ইরানী-নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন - ইসরায়েলি বাহিনীই প্রথম গোলাগুলি করেছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়ার গোলান এলাকাটি ইসরায়েল দখল করে নেয় ১৯৬৭ সালে জেনারেল কনরিকাস বলেন, চারটি রকেট ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম' দিয়ে আটকে দেয়া হয়। অন্যগুলো তাদের লক্ষ্যে পৌছানোর আগেই মাটিতে পড়ে যায়, কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। সিরিয়ার ভেতরে থাকার ইরানের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর এর আগে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে - যেগুলো ইসরায়েলই চালিয়েছে বলে মনে করা হয়। এপ্রিল মাসে একটি বিমানঘাঁটিতে এক হামলায় সাত জন ইরানী বিপ্লবী গার্ড নিহত হয়। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের যে সাতটি তথ্য না জানলেই নয় বাংলাদেশে কেন এত বেশি বজ্রপাত হয়? মালয়েশিয়া নির্বাচন: মাহাথিরের জয়ের রহস্য মাহাথির মোহাম্মদ: চিকিৎসক থেকে প্রধানমন্ত্রী
সিরিয়ার ভেতরে থাকা ইরানী অবস্থানগুলোর ওপর অনেকগুলো বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
যৌনমিলনের সময় চড় মারা, থুতু দেওয়া বা শ্বাসরোধের মত সহিংসতার শিকার হয়েছেন অ্যানা বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, যুক্তরাজ্যের ৪০ বছরের চেয়ে কম বয়সী নারীদের এক-তৃতীয়াংশই যৌন সঙ্গমের সময় অযাচিতভাবে সহিংসতার (চড় মারা, শ্বাসরোধ করা, থুতু দেওয়া) শিকার হয়েছেন। যেসব নারীর এই ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাদের অন্তত ২০% জানিয়েছেন যে পরবর্তীতে তারা ভীত বা বিপর্যস্ত বোধ করেছেন। ২৩ বছর বয়সী অ্যানা জানান, তিনজন আলাদা পুরুষের সাথে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্কের সময় তিনি এধরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রথমবার তার চুল ধরে টানা হয় এবং চড় মারা হয়। এরপর তার সঙ্গী অ্যানা'র গলায় হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। আরো পড়ুন: 'আমার স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন ছিল একটা যুদ্ধের মতো' কোন বয়সে হওয়া উচিত প্রথম যৌনমিলন? মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা ভ্যাজাইনিসমাস: যে ব্যাধি যৌনমিলনে শুধুই যন্ত্রণা দেয় "আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করি এবং ভয় পাই। কেউ যদি রাস্তায় আপনাকে চড় মারতো এবং গলা চেপে ধরতো তাহলে সেটিকে হামলা হিসেবে দেখা হতো", বলেন অ্যানা। নিজের বন্ধুদের সাথে যখন অ্যানা এই অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তখনই বুঝতে পারেন যে এরকম ঘটনা অহরহই ঘটছে। "এরপর থেকে দেখলাম অধিকাংশ পুরুষই এসব কাজের সবগুলো একসাথে না হলেও অন্তত কোনো একটি করার চেষ্টা করেন।" যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয়নি'। আরেকবার সঙ্গমরত অবস্থায় তার অনুমতি না নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না দিয়েই পুরুষ সঙ্গী অ্যানার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এবছরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অ্যানা বলেন তার আরেক সঙ্গী যৌনমিলনের সময় তার উপর এতটাই বল প্রয়োগ করে যে পরবর্তীতে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন থেকে যায়। "আমি জানি কিছু নারী বলবেন যে তারা এগুলো উপভোগ করেন। সমস্যা হয় তখনই, যখন পুরুষরা ধরে নেয় যে সব নারীই সেগুলো উপভোগ করবে।" গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভান্টা কমরেস যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ২ হাজার ২ জন নারীকে জিজ্ঞেস করেন তারা যৌনমিলনের সময় চড়, শ্বাসরোধ, কন্ঠরোধ অথবা থুতু দেওয়া উপভোগ করেন কিনা এবং অযাচিতভাবে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তাদের পড়তে হয়েছে কিনা। এক-তৃতীয়াংশের বেশি নারীই (৩৮%) এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান। ৩১% নারী জানিয়েছেন তারা এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু তা তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ছিল। আর ৩১% নারী বলেছেন তাদের এধরণের কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি, এসম্পর্কে জানেন না অথবা তারা এনিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা সেন্টার ফর ওমেন্স জাস্টিসের মতে এধরণের ঘটনার সংখ্যা বাড়ায় বোঝা যায় যে যৌনমিলনের সময় 'অবমাননাকর, ঝুঁকিপূর্ণ ও সহিংস কাজের অনুমতি দেয়ার জন্য নারীদের ওপর চাপ বাড়ছে।' তারা বলছে: "এক্সট্রিম পর্নোগ্রাফিকে স্বাভাবিকভাবে দেখা, এর সহজলভ্যতা ও যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণেই এধরনের ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে।" 'আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই' এমা'র বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তিনি মাত্রই দীর্ঘ সময় টিকে থাকা একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তারপর তিনি একরাতের জন্য এক ব্যক্তির সাথে যৌনসম্পর্ক করেন। "সেক্সের সময় কোনো কিছু না জানিয়েই সে আমার শ্বাসরোধ করে। আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই এবং আতঙ্কিত বোধ করি। সেসময় আমি কিছু বলিনি কারণ আমার চিন্তা হয় যে, এই ব্যক্তি আমার ওপর জোর প্রয়োগ করতে পারে।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে সুদানে নারীদের নিয়ন্ত্রণকারী আইন বাতিল পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? অনেক নারীর কাছে যৌন সম্পর্ক ধারালো বস্তুর আঘাতের মতো এমাও মনে করেন যে পর্ন দেখেই ঐ ব্যক্তির মাথায় এরকম চিন্তা এসেছে। "মনে হচ্ছির সে অনলাইনে এরকম কিছু দেখেছে এবং সেটাই বাস্তব জীবনে চেষ্টা করছে।" গবেষণায় এও উঠে আসে যে যারা যৌনমিলনের সময় চড়, শ্বাসরোধ, কন্ঠরোধ বা থুতুর মত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের ৪২% সেগুলো মেনে নিতে চাপ বোধ করেছেন বা তাদের জোর করে সেগুলো মেনে নিতে রাজি করানো হয়েছে। 'সহিংসতা 'স্বাভাবিক' হয়ে উঠছে' যৌনতা ও সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ স্টিভেন পোপ এই ধরণের কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিদিনই দেখতে পান বলে জানান। "এট একটি নীরব মহামারি। মানুষ এগুলো করে কারণ তারা মনে করে যে এটি স্বাভাবিক, কিন্তু এর প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে। অনেকসময় এরকম কাজ সম্পর্কের অবমূল্যায়ন করে। আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, এটি সহিংসতাকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়।" তিনি মন্তব্য করেন, যারা এধরণের কাজ করে তারা এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে জানে না। সচেনতা কর্মী ফিওনা ম্যাকেঞ্জি বলেন যে এই জরিপের ফল 'রীতিমত ভীতিকর।' "আমি প্রায়ই নারীদের কাছ থেকে শুনি যে যৌনমিলনের সময় সঙ্গী তাদের চড় মেরেছে, থুতু দিয়েছে, শ্বাসরোধ করেছে, ঘুষি দিয়েছে বা গালিগালাজ করেছে। যদিও ঐ সঙ্গীর সাথে সম্মতিক্রমেই যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নারীটি।" অ্যানা মন্তব্য করেন, "সেক্স খুবই পুরুষকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখন যৌনমিলনের ক্ষেত্রে পর্নের প্রভাব ব্যাপক। নারীদের জন্য বিষয়টি খুব একটা উপভোগ্য নয়।" এবং তিনি মনে করেন যৌনমিলনের সময় সহিংসতার বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। "আমার সাথে যৌনমিলনের সময় সহিংস আচরণ করা পুরুষরা খুবই সাধারণ ছিল। কিন্তু আমার ধারণা তারা নিয়মিত পর্ন দেখতো এবং তারা ধরেই নিয়েছিল যে, নারীরা এরকমটা চায়।"
সম্মতিসহ যৌনমিলনের সময় সহিংসতার ঘটনা স্বাভাবিক একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করা প্রচারণা কর্মীরা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তানের ১০ জন ক্রিকেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান একটি ভিডিও বার্তায় সাত জন খেলোয়াড়ের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়বার খবর দেন। এরা হলেন, ফখর জামান, ইমরান খান, কাশিফ ভাট্টি, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ওয়াহাব রিয়াজ। এর আগে হায়দার আলি, হারিস রউফ ও শাবাদ খান আক্রান্ত হন কোভিড-১৯ এ। এছাড়া দলের সাহায্যকারী একজন কর্মী মালাঙ আলীও পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। সোমবার শাদাব খান, হারিস রউফ ও হায়দার আলীর ফল পজিটিভ আসে। ইংল্যান্ড সফরের জন্য ২৯জন ক্রিকেটারকে ডাকে পাকিস্তান তার মধ্যে ১০ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেল। তবে পিসিবি কর্মকর্তা ওয়াসিম খান বলছেন, দল সঠিক সময়েই ইংল্যান্ড যাবে। দলটির ২৮শে জুন ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে। যারা পজিটিভ এসেছেন তারা আইসোলেশনে আছেন। এরপর আবার টেস্ট করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ইংল্যান্ডে তারা যাবেন কি যাবেন না। ওয়াসিম খান বলছেন, কোনো প্রশ্নের উত্তরই নিশ্চিত না এখন। তবে ক্রিকেট মাঠে ফেরানো গুরুত্বপূর্ণ। আরো দেড় বছর ক্রিকেট আর কোভিড-১৯ এভাবেই চলবে। ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনো রকম উপসর্গ দেখা গেলে সাথে সাথে জানাতে বলা হয়েছে। সোমবার কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারদের মধ্যে ২৮ জনের একটি দলের টেস্ট হয়েছে। যারা টেস্টে নেগেটিভ এসেছে তারা আবারো ২৫শে জুন কোভিড-১৯ টেস্ট দেবেন। ২৮শে জুন ম্যানচেস্টারের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে। শোয়েব মালিকের এখনো পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি ২৪শে জুলাই ইংল্যান্ডে যাবেন পরিবারের সাথে দেখা হওয়ার পর। এছাড়া বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসেরও টেস্ট হয়নি। পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে তার ভিত্তিতে বাকি ক্রিকেটারদের ইংল্যান্ডে প্রবেশের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে। ইংল্যান্ডে কী ধরণের প্রটোকল থাকবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল সালিম জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর আবারো টেস্ট করা হবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। এরপর শুরু হবে অনুশীলন। ইংল্যান্ডে প্রতি সাতদিনে একবার টেস্ট করা হবে। টেস্ট সিরিজ শুরুর তিনদিন আগে আবারো পরীক্ষা করা হবে। মি. সোহেল সালিম জানিয়েছেন যদি কোনোভাবে কোনো ক্রিকেটারের পজিটিভ আসে তাহলে তাকে সাতদিনের জন্য আলাদা করে ফেলা হবে। দুইবার পরীক্ষা করা হবে। এবং এরপর আবারো পজিটিভ আসলে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। যদি কোনো একজন ক্রিকেটারের দেহে ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে সব ক্রিকেটারের সাথে সাথেই টেস্ট করা হবে। সেখানে র‍্যাপিড টেস্ট আছে, তাই এই সুবিধাই নেবে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড যদি অনুমতি না দেয় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা তাদের প্রবাসী আত্মীয় বা স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারবেন না। চৌঠা জুলাই পর্যন্ত ব্রিটেনে কড়াকড়ি থাকবে, তার আগে এমনিও ক্রিকেটাররা কোথাও ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। সোহেল সালিম বলেছেন, ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে তারা কীভাবে ট্যুরে থেকে একে অপরের থেকে দূরে থাকবেন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
আরো সাতজন ক্রিকেটারের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে পাকিস্তানের। আগে থেকেই ছিল তিনজনের। এনিয়ে মোট ১০জন ক্রিকেটার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
উহানে আটকে পড়েছে বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রী এরা সবাই যার যার ছাত্রাবাসের রুমের ভেতরে প্রায় বন্দী অবস্থায় আছেন। বাইরে বেরুতে পারছেন না, খাবার ফুরিয়ে আসছে, আতংকিত উহান নগরীতে এখন তাদের দিন কাটছে দেশে ফেরার প্রতীক্ষায়। "আমরা দেশে ফিরতে চাই," বলছেন তারা। বিবিসি বাংলার সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেছেন উহানে এরকম দুজন বাংলাদেশি। তাহকিম আনজুম মৃদুলা, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী "আমাদের ইউনিভার্সিটিতে আমরা ১২৭ জনের মতো বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী আছি। আমাদের যেন এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ উহানই এখন সবচেয়ে বেশি এই ভাইরাসের শিকার হয়েছে।" উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস "আমাদের ডরমিটরির বাইরে একেবারেই যাওয়া নিষেধ। আমরা টোটাল লকডাউনের (পুরোপুরি অবরুদ্ধ) মধ্যে আছি।" "আমাদের খাবারের সংগ্রহ খুবই সীমিত। মাস্ক না পরে, এমনকি রুমের বাইরে পর্যন্ত যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একটা আতংক কাজ করছে আমাদের মধ্যে। বাতাসে বেরিয়ে আমরা না আবার এই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হই।" "দেশে বাবা-মা খুবই চিন্তিত। তারা চাইছেন আমরা দেশে ফিরে যাই। আমরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। অপেক্ষায় আছি কখন একটা পদক্ষেপ নেয়া হয়।" "আমরা সবাই দেশে ফিরে যেতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।" রাকিবিল হাফিজ, উহানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিবিল হাফিজ: উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশি ছাত্র "আজ কয়েকদিন ধরে এই ডরমিটরিতে আমরা অবরুদ্ধ। শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছি। এটা একটা ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলের মতো। পাঁচশোর মতো বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী আছে এখানে। আমরা বাংলাদেশিরা ছাড়াও আছে রাশিয়া, কাজাখাস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত, পাকিস্তান থেকে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ছেলে-মেয়েরা।" "মাঝখানে আমাদের খাবার পর্যন্ত ফুরিয়ে গিয়েছিল। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। ইউনিভার্সিটি এই মূহুর্তে বন্ধ, চাইনিজ লুনার ইয়ারের ছুটি। ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখে খোলার কথা, কিন্তু শোনা যাচ্ছে এটি পিছিয়ে যেতে পারে।" "বাংলাদেশ দূতাবাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা সব তথ্য নিয়ে আমাদের তালিকাভুক্ত করছেন। এখানে যারা মাস্টার্সের ছাত্র, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস যোগাযোগ করছে। তাদের কাছে আমাদের টোটাল সংখ্যা জানতে চেয়েছে। কত ছাত্র-ছাত্রী এখন আমরা এখানে আছি।" অন্যান্য খবর: উহানের বাংলাদেশিদের বিচলিত না হবার আহ্বান কোন দেশে পড়তে যেতে চান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা? ক্রিকেট: পাঁচ বছরে মুস্তাফিজের অবনতি কতটা
চীনের যে শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়, সেই উহান শহরে তিনশোর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী পিঠে বিস্ফোরক নিয়ে গির্জায় ঢুকছে "তারা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট স্বাবলম্বী। পরিবারগুলোর যথেষ্ট টাকা-পয়সা রয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে তারা স্থিতিশীল।" হামলাকারীদের একজন ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলো। শ্রীলঙ্কান মন্ত্রী বলেন, "খুবই উদ্বেগের বিষয় এটি।" যে আটজন আত্মঘাতী হামলাকারীকে এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন সহোদর। এই দুই ভাই কলম্বোর ধনী এক মসলা ব্যবসায়ীর দুই ছেলে বলে তদন্তকারীদের উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে। এই দুই ভাই কলম্বোর দুটো হোটেলে হামলা চালায়। তদন্তকারী একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এক ভাইয়ের নাম-ঠিকানা পাওয়ার পর তার বাড়িতে কম্যান্ডো পুলিশ গেলে ভেতরে এক ভাইয়ের স্ত্রী বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে ঐ নারী এবং তার দুই ছেলে মারা যায়। সাথে নিহত হয় তিনজন পুলিশ কম্যান্ডো। একজন তদন্তকারী এএফপিকে বলেছেন, "একটি পরিবার তাদের বাড়ীতে সন্ত্রাসী সেল প্রতিষ্ঠা করেছিল।" কলম্বোতে বিবিসির সাংবাদিক আজাম আমিন বলছেন, তদন্তকারীরা হামলাকারীদের পরিবারের সদস্যদের দিকেও নজর রাখছেন। পরিবারের সদস্যদের পরিচয়, গতিবিধি বিশ্লেষণ করছেন। তিনি জানান, যে ৬০ জনের মত সন্দেহভাজনকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে হামলাকারীদের কয়েকজন স্ত্রীও রয়েছে। হামলায় অংশ নেওয়া তরুণ-যুবকদের অধিকাংশই উচ্চ-শিক্ষিত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান - শ্রীলঙ্কার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান ভিজেবর্ধনে এ প্রবণতা বিশ্বের সর্বত্র ঢাকায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের শীর্ষ গবেষক শাফকাত মুনির বলছেন, বিশ্বজুড়েই দেখা যাচ্ছে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই প্রধানত এ ধরনের সহিংস সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। "এটি একটি কমন প্যাটার্ন। উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের, পশ্চিমা দেশগুলোতে লেখাপড়া করা অনেক তরুণ যুবকদের সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।" ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের মাত্র দুজন বাদে সবাই বিদেশে লেখাপড়া করেছিল। বাংলাদেশের পুলিশও বিভিন্ন সময় বলেছে, ধর্মীয় উগ্রপন্থায় জড়িতদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, ধনী ঘরের সন্তান। কলম্বোর একটি মসজিদের বাইরে কয়েকজন মুসলিম। মনস্তাত্ত্বিক চাপে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা শ্রীলঙ্কায় হামলা: বাংলাদেশ কতটা শঙ্কামুক্ত? সন্ত্রাস-বিরোধী নাগরিক হোন: ব্রিটিশ পুলিশ কেন এই প্রবণতা? শাফকাত মুনির, যিনি বাংলাদেশ সেন্টার ফর টেররিজম রিসার্চের প্রধান, মনে করেন, অধিকাংশ সময় 'আইডেনটিটি ক্রাইসিস' বা আত্মপরিচয়ের সঙ্কট থেকে এই ধর্মীয় উগ্রপন্থায় দীক্ষার সূচনা হয়। "ধনী ঘরের অনেক সন্তান জীবনের একটি পর্যায়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন- যাপন করে। একটা পর্যায়ে এসে তাদের মধ্যে অনুশোচনা তৈরি হয়। আত্মশুদ্ধির চিন্তা ঢোকে তাদের মাথায়। এই অবস্থায় তাদেরকে ধর্মীয় উগ্রবাদে দীক্ষিত করা সহজ হয়ে পড়ে।" মি মুনির বলছেন, "প্রধানত ইন্টারনেটের মাধ্যমে যারা জেহাদি 'রিক্রুট' করার কাজে লিপ্ত, তারা বিভিন্ন দেশের মুসলিম সমাজের এই ধরনের উচ্চবিত্ত পরিবারের মানসিকভাবে নাজুক অবস্থায় পড়া তরুণ-যুবকদের টার্গেট করে।" বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্কট সম্পর্কে বিকল্প ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অভাবে অনেক মুসলিম তরুণ যুবক ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দেওয়া ন্যারেটিভে আকর্ষিত হয়ে পড়েছে। "এই সঙ্কট বুঝে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে এখন সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।"
শ্রীলঙ্কার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান ভিজেবর্ধনে আজ (বুধবার) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রোববার গির্জা ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়া তরুণ-যুবকদের অধিকাংশই উচ্চ-শিক্ষিত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ফাইল ফটো) শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন এবং বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা শেখ হাসিনার সঙ্গে এই বৈঠক করার কথা জানিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে মমতা ব্যানার্জি গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তিস্তা পানি-বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু তিনি এখনই প্রকাশ করবেন না বলে জানান। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহলের মতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলেও বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। বাংলাদেশকে পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গ শুষ্কতা দেখা দেবে এমন যুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা শুরু থেকেই এই চুক্তির পথে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কলকাতা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানান, ভারত আর বাংলাদেশের কয়েকটি সূত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে তিস্তার পানি-বণ্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জি আগে যে অনড় অবস্থানে ছিলেন, এখন সেই বরফ আস্তে আস্তে গলতে শুরু করেছে। তার মানে এই নয় যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা যে তিস্তার পানি-বণ্টন নিয়ে এক্ষুনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিচ্ছেন। দুই দেশের কারো পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর ফলে এখনই নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না যে তিস্তা নিয়ে মমতা অবস্থান বদল করেছেন কি-না। তারপরও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন অনেকে, জানান অমিতাভ ভট্টশালী। আরো পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার বিরোধিতা কেন? মমতার প্রস্তাব কি তিস্তা চুক্তি পেছানোর কৌশল? তিস্তা চুক্তি আমার আমলেই হবে: নরেন্দ্র মোদি ভারত সফরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে সবপক্ষই এটা স্বীকার করছেন যে তিস্তা নদীর পানি-বণ্টন নিয়ে যে জটিল সমস্যা রয়েছে, তার চটজলদি কোনও সমাধান নেই। বেসিন ম্যানেজমেন্ট বা অববাহিকা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। মমতা ব্যানার্জি যেটা বরাবর বলে আসছেন, যে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা যখন নেমেছে, তার আগেই সিকিমে অনেকগুলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্যই নদীর পানি সাময়িকভাবে ধরে রেখে তারপরে তা ছাড়া হয়। এতগুলো প্রকল্পে সাময়িকভাবে পানি ধরে রাখার কারণেই পশ্চিমবঙ্গে আসার পরে তিস্তার প্রবাহ খুবই ক্ষীণ হয়ে গেছে। পানি প্রায় নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে, তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের চাষের প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না -তাই বাংলাদেশকে পানি দেওয়ার আগে নিজের রাজ্যের কৃষকদের প্রয়োজনের কথাটাই মমতা ব্যানার্জীর কাছে অগ্রাধিকার পায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই বৈঠকে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যে দীর্ঘ সীমান্ত আছে, তার সুরক্ষা আর সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে - এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে বলে জানান সংবাদদাতা অভিতাভ ভট্টশালী। গত বছর দুই দেশের বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক হলেও বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষিত তিস্তা চুক্তি হয়নি। তবে সে সময় মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দুই সরকারের মেয়াদ থাকা অবস্থাতেই এই চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এই বৈঠকের আগে শুক্রবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন, সেখানেও মমতা ব্যানার্জী আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে উল্লেখ করে অমিতাভ ভট্টশালী জানান, ওই আলোচনা নিয়েও কোন পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিলো সেখানে, তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুটি আলোচিত হয়েছে - এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারতের কাছ থেকে কতটা লাভ পেল বাংলাদেশ? বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নির্বাচনী বছরে কেন ভারতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ভবন: উয়ারি বটেশ্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধ কী আছে ভারতের বাংলাদেশ ভবনে?
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শনিবার সন্ধ্যায় তাজ বেঙ্গল হোটেলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে, এই টিকার ইনজেকশন তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেতকণিকা তৈরি করে, যা শরীরের ভেতর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। একে একটি বড় রকমের সম্ভাবনাপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে কি-না, তা বলার সময় এখনও আসেনি। এ নিয়ে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে। যুক্তরাজ্য এর মধ্যেই ১০ কোটি টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টিকা কীভাবে কাজ করে? ChAdOx1 nCoV-19 নামের এই টিকাটি তৈরি করতে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে, এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করে এই টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে। এটাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটা মানব শরীরে সংক্রমণ তৈরি না করে। এটাকে করোনাভাইরাসের কাছাকাছি একটা সাদৃশ্যও দেয়া হয়েছে। যে টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে, তার ভেতরে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের জিনগত বৈশিষ্ট্য ঢুকিয়ে (যে অংশটি আমাদের কোষকে আক্রমণ করে) দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মানে হলো, টিকাটি করোনাভাইরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তখন শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুঝতে পারে যে, কীভাবে করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে পরাস্ত করা যাবে। গবেষণাগারে কাজ করছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল কী? করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে বেশিরভাগ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে অ্যান্টিবডির দিকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি অংশ মাত্র। অ্যান্টিবডি হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার তৈরি করা ছোট আকারের প্রোটিন, যা ভাইরাসের সঙ্গে সেটে গিয়ে সেটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসকে অকার্যকর করে দিতে পারে। টি-সেল, রক্তের সাদা একটি অংশ আক্রান্ত কোষগুলোকে খুঁজে বের করতে আর ধ্বংস করতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। প্রায় সব কার্যকর টিকা অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে কাজ করে। টিকা দেয়ার ১৪ দিন পরে টি-সেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় আর অ্যান্টিবডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ২৮দিনের মধ্যে। তবে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাপারটি কেমন হতে পারে, সেটি এখনো যাচাই করে দেখতে পারেননি গবেষকরা। এটা কি নিরাপদ? এটা নিরাপদ, তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। যদিও সেগুলো খুব বিপদজনক কিছু নয়। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, টিকা নেয়ার পর তাদের জ্বর অথবা মাথাব্যথা হয়েছিল। গবেষকরা বলছেন, প্যারাসিটামল খেয়ে এটা সামলানো যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, '' কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় আমাদের টিকা কাজ করবে, সেটা বলার আগে আমাদের আরও অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া ফলাফল বেশ আশা যোগাচ্ছে।'' অনেক দেশ বা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে পরীক্ষার পরবর্তী ধাপে কি হবে? এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল যদিও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক, কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য হলো সব মানুষকে দেয়ার জন্য নিরাপদ কিনা, সেটা নিশ্চিত করা। গবেষণায় এটা জানা যায়নি যে, এটা মানুষজনকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে নাকি তাদের কোভিড-১৯ উপসর্গ কমিয়ে দেবে। পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় যুক্তরাজ্য জুড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেবে। তবে এই পরীক্ষাটি অন্যান্য দেশেও করা হবে। যেহেতু যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস রোগীর সংক্রমণের হার এখন কম, তাই টিকাটি কতটা কার্যকর তা সেখানে বের করা কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চলবে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই হাজার আর ব্রাজিলে পাঁচ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সুয়েজ ক্যানালে আটকে পড়া সেই জাহাজটি জাহাজটি কেন সুয়েজে আটকে গিয়েছিল, তা নিয়ে এখন মিশর কর্তৃপক্ষ এখন আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। ওই বিশালাকার কার্গো জাহাজটি জাপানের মালিকানাধীন, পানামার পতাকাবাহী এবং তাইওয়ানের একটি কোম্পানি 'এভারগ্রিন' দ্বারা পরিচালিত হলেও জাহাজের ক্যাপ্টেন-সহ নাবিকদের সবাই ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, সুয়েজ খালের ওই দুর্ঘটনার পর ভারত সরকার তাদের সবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বস্ত করেছে যে ওই নাবিকদের সুরক্ষার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেন বা অন্য নাবিকদের পরিচয় তারা এখনও প্রকাশ করেননি। যদিও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই পঁচিশজন নাবিকের বেশির ভাগই ছিলেন দাক্ষিণাত্যের তেলেঙ্গানা, কেরালা বা তামিলনাডু রাজ্যের বাসিন্দা। ক্যাপ্টেন নিজেও একজন দক্ষিণ ভারতীয়। জাহাজটি খালে আটকে ছিল প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এবং এটিকে ভাসানোর চেষ্টা প্রথমে সফল হয়নি এখন ভারতের শিপিং ইন্ডাস্ট্রি বা জাহাজ চলাচল শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা অনেকেই মনে করছেন, সুয়েজের ওই দুর্ঘটনার জেরে ভারতীয় নাবিকদের ফৌজদারি চার্জের মুখোমুখি হতে হবে। ইতিমধ্যেই ওই পঁচিশজন নাবিককে সুয়েজে 'গৃহবন্দী' রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুয়েজ ক্যানাল কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশ ছাড়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারতে মার্চেন্ট নেভি অফিসারদের বৃহত্তম সংগঠন 'দ্য মেরিটাইম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া'র একটি পদস্থ সূত্র বিবিসিকে বলেন, "আসলে সুয়েজ ক্যানাল অথরিটির নিজস্ব কিছু আইনকানুন আছে, যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের চেয়েও অনেক বেশি কড়া!" "যেমন ধরুন, যখনই কোনও জাহাজ ওই ক্যানালে প্রবেশ করবে তার আগে থেকেই অথরিটির নিজস্ব দুজন পাইলট জাহাজে উঠে দায়িত্ব নেবেন এবং পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।" "কিন্তু তারপরও জাহাজ যদি কোনও দুর্ঘটনায় পড়ে সে ক্ষেত্রে তার দায় কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেনের ওপরই বর্তাবে, ওই পাইলটদের ওপর নয়," জানাচ্ছেন তিনি। আরও পড়তে পারেন: সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজ নিয়ে কেন গোটা বিশ্বের মাথাব্যথা ভারতের শিপিং ইন্ডাস্ট্রির তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই কারণেই দুর্ঘটনার দায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় নাবিকদের ওপরেই পড়ার একটা আশংকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩শে মার্চ সকালে এভার গিভেন যখন সুয়েজ খাল ধরে এগোচ্ছিল, তখন প্রবল ধূলিঝড় আর জোরালো বাতাসে জাহাজটির অভিমুখ বেঁকে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় এবং সেটি খালকে আড়াআড়িভাবে আটকে দেয়। এর পরিণতিতে প্রায় সাড়ে তিনশো মালবাহী জাহাজ খালের দুদিকে আটকে পড়ে। বহু জাহাজকে কেপ টাউন হয়ে পুরো আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপের দিকে পাড়ি দিতে হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করছেন সুয়েজ ক্যানাল অথরিটির প্রধান ওসামা রাবি এদিকে ভারতের ন্যাশনাল শিপিং বোর্ডের সদস্য ক্যাপ্টেন সঞ্জয় পরাশর জানাচ্ছেন, "ঠিক কীভাবে জাহাজটি ক্যানালকে আটকে দিল তার তো তদন্ত হবেই। এটা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।" "এখানে ভারতীয় নাবিকদের দায় কতটা, জাহাজের 'শিপ ভয়েজ ডেটা রেকর্ডার' থেকে কথোপকথন শুনলেই তা পরিষ্কার হবে বলে মনে করি", বলছেন ক্যাপ্টেন পরাশর। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক পি সুশীল রাও ওই জাহাজের ভারতীয় নাবিকদের নিয়ে খোঁজখবর রাখছেন প্রথম থেকেই। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আমি যতদূর জানতে পারছি জাহাজটির জাপানি মালিকদের সঙ্গে সুয়েজ ক্যানাল অথরিটির এই মুহূর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।" "সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এই সঙ্কট হয়তো সহজেই মিটে যাবে এবং ভারতীয় নাবিকরা হয়তো কড়া শাস্তি এড়াতে পারবেন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করছে", বলছেন মি রাও। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই মুম্বাই-ভিত্তিক 'ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সিফেয়ারার্স অব ইন্ডিয়া' এভারগিভেন জাহাজের সব ভারতীয় নাবিকের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুলগনি সেরাং টুইট করেছেন, "আমি ওই নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সুস্থ আছেন, কিন্তু প্রচন্ড চাপের মুখে আছেন।" "তবে তারা এই বিপদে একা নন। যখনই দরকার হবে এবং যেভাবে দরকার হবে, আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি," লিখেছেন তিনি। ওই নাবিকদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কূটনৈতিক চ্যানেলে অনানুষ্ঠানিকভাবে মিশরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। আরও পড়তে পারেন: সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর সেতু কতটা সুবিধা দেবে বাংলাদেশকে সীমান্তে প্রথম যে নদীসেতু যুক্ত করবে বাংলাদেশ ও ভারতকে স্থলবন্দর খুলতে না পেরে রেলপথে বাংলাদেশে মালামাল পাঠাচ্ছে ভারত
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান পথ সুয়েজ ক্যানাল আটকে রাখা জাহাজ 'এভার গিভেন' অবশেষে আবার ভেসেছে ঠিকই, কিন্তু ওই জাহাজের জনা পঁচিশেক ভারতীয় নাবিকের জন্য অপেক্ষা করছে চরম অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইস্তানবুলে বসবাসরত তুর্কী উইঘুররা গত মাসে একটি বিক্ষোভ করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লক্ষ লক্ষ উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন - যেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। চীন এগুলোকে 'সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: শিনজিয়াংএ উইঘুরদের সংখ্যা কমাতে চাকরি দেয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে বহু দূরে উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন - তাতে চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন। এর পরপরই চীন - ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দশজন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লংঘনের জন্য বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
গাজায় আহত এক ফিলিস্তিনি কিশোর ফিলিস্তিনি দূত গাজায় যা ঘটছে তাকে এক বর্বরোচিত আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যেদিন ইসরায়েলে তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নিল, সেদিন এই ব্যাপক হত্যাকান্ড ঘটলো গাজায়। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। দু হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর এক দিনে এত বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি। মিসর অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে। অন্যদিকে তুরস্ক এই ঘটনাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন বলেছেন, যারা এই জঘন্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ইসরায়েলি সেনাদের গুলি ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইউরোপসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। গাজায় টানা বিক্ষোভ চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুসালেমে তারা গড়ে তুলেছে দু'লাখ ইহুদির জন্যে বহু বসতি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। একসময় জেরুসালেমে বহু দেশের দূতাবাস ছিলো। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইসরায়েল জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার পর বহু দেশ সেখান থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জেরুসালেমের এক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা আদেল হালাক বলেন, "এই ভূমিতে বহু নবী এসেছেন। তারা আমাদের জন্যে বহু বাণী ও ধর্ম নিয়ে এসেছেন। ট্রাম্প নামে আমাদের আর কোন নবীর দরকার নেই। আমেরিকার শক্তি তো সবখানেই আছে। আমাদের এখানে তার দরকার নেই।" বিক্ষোভে উত্তাল গাজা। টায়ার পোড়ানো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এটিকে ইসরায়েলের জন্য একটি 'গৌরবময়' দিন বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন জেরুসালেমই যে ইসরায়েলের রাজধানী এটি স্বীকার করে নেয়ার ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে ব্যর্থতা দেখা গেছে। তবে তিনি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্য শান্তির ব্যাপারে অনেক আশাবাদী। কিন্তু ফিলিস্তিনি একজন কর্মকর্তা সায়েব এরাকাত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়া আন্তর্জাতিক আইনের বিরাট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে এক দিনেই ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সাম্প্রতিক সময়ে 'জঙ্গি আস্তানা' বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, আটককৃতদের মধ্যে দুইজন আপন ভাই এবং আরেকজন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। আপন দুই ভাই প্রকৌশলী এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছে বলে পুলিশ বলছে। কর্মকর্তারা বলছেন, আটককৃতদের মধ্যে বড়ভাই ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছোটভাই একসময় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও পরে চাকরি ছেড়ে দেন। আর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী একটি সরকারি ব্যাংকে চাকরী করেন। যে বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের আটক করেছে সেটির মালিক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃতরা তার দুই ছেলে এবং একজন পুত্রবধূ। পুলিশ দাবি করছে সে বাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে যেসব বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সাথে নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার করা বিস্ফোরকের মিল রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এসব হামলার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা এই বাড়িতে বসে জঙ্গি সংগঠনের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ রাখতো বলে পুলিশ দাবি করছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সোমবার সকালে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে ফেলে। নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা এলাকায় এই বাড়িটি অবস্থিত। আরো খবর: শেখ হাসিনা কেন হঠাৎ 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে' সজাগ হলেন অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান কী পৃথিবী থেকে যে ছয়টি জিনিস ফুরিয়ে যাচ্ছে একই র‍্যালিতে ট্রাম্প ও মোদী: পরস্পরকে ভূয়সী প্রশংসা
ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশ যে অভিযান চালিয়েছে সেখান থেকে দুইজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আটক করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বিক্ষোভাকরীদের মিছিল করে ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা "ঘরে ফিরে যান''। টুইটার বলছে "@realDonaldTrump অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট গুলো গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সেটাকে ঘিরে যে প্রেক্ষাপট তৈরি" হয়েছে তার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ ১২ ঘণ্টার জন্য অচল করে রেখেছিল এর আগে। টুইটার তখন সতর্ক করে বলেছিল, তারা মি. ট্রাম্পকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে যদি তিনি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মনীতি ভঙ্গ করেন। ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় তার ২০২০ সালের ক্যাম্পেইন উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার টুইট করেছেন "জঘন্য, আপনি যদি ভাবেন তারা পরবর্তীতে আপনার দিকে আসবে না তাহলে আপনি ভুল করছেন"। শুক্রবারে সার্চ ইঞ্জিন গুগল- সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্লাটফর্ম 'পার্লার' স্থগিত করে, যেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। গুগল বলেছে "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে যেসব পোষ্ট, তেমন কিছু পার্লার অ্যাপ এ অনবরত পোষ্ট করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সতর্ক আছি"। মি. ট্রাম্পের টুইটার ব্লক করে দেয়া হয় শুক্রবার। ক্যাপিটলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা তিনি বুধবার বেশ কিছু টুইট করেন যেখানে ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের "দেশপ্রেমিক" বলা হয়েছিল। অনলাইন ভিত্তিক বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফেসবুক বলেছে তারা মি. ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এই চ্যানেল ব্যবহার করে তিনি তার সমাবেশ সম্প্রচার করতেন। টুইটারে সরব ছিলেন ট্রাম্প স্ন্যাপচ্যাট থেকে নিষিদ্ধ তিনি। ট্রাম্পের মেমোরিবিলিয়া বিক্রি করে এমন দুইটি অনলাইন স্টোরকে এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ করেছে ই-কর্মাস কোম্পানি শপিফাই। ট্রাম্প টুইটারে তার প্রতিপক্ষদের অপমান করতেন, মিত্রদের উৎসাহিত করতেন, কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি করতেন, এবং তার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। তিনি প্রায়ই ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটার অর্থাৎ বড় অক্ষর ব্যবহার করতেন। এবং তার তার পয়েন্টটা নজরে আনার জন্য বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করতেন। যদিও সমালোচকরা বলেন তার সেইসব পোষ্ট ছিল ভুল-তথ্য প্রবাহ, এই মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি মূলধারার গণমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার ৮৯ মিলিয়ন অনুসারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন। তার টুইট ভুল বানানের জন্য পরিচিত ছিল। কী ঘটেছিল? কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থক বিক্ষোভকারী আমেরিকার আইন-প্রণেতারা বুধবার যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে। দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। ওই দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা'র অভিযোগে এক তরুণ কারাগারে দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করলেন ছত্তিশগড়ের যুবক আবু বাকার বা'আসিরের মুক্তি কি ইন্দোনেশিয়ায় উগ্রপন্থা আবার উস্কে দেবে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পকে টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, "ভবিষ্যতে সহিংসতা উস্কে দেবার ঝুঁকি" থাকার কারণে এটা করা হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আসামের গুয়াহাটিতে প্রতিবাদ। ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৯ তবে বিবিসি জানতে পেরেছে, বিলটি নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেখানকার স্বশাসিত ও বিশেষ সুরক্ষাপ্রাপ্ত এলাকাগুলোকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আর নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে 'কাট-অফ ডেট' ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর - অর্থাৎ ওই তারিখের মধ্যে ভারতে এলে তবেই তারা ভারতের নাগরিক হতে পারবেন। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল এই বিলের বিরোধিতা করলেও এটি সরকার পার্লামেন্টে পাস করিয়ে নিতে পারবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বস্তুত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে গত কয়েকদিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে একশো দশ ঘন্টারও বেশি বৈঠক করেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, বিলটির পুরনো আকারে যিনি তীব্র আপত্তি জানান আর এই দীর্ঘ আলোচনার পরিণতিতেই বিতর্কিত এই বিলের পরিধি থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের ইনার লাইন পারমিট এলাকাসমূহ। এখন এই ইনার লাইন পারমিট-ভুক্ত অঞ্চলে যেতে হলে ভারতের অন্য এলাকার নাগরিকদেরও বিশেষ অনুমতি লাগে। তা ছাড়া আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় বা মিজোরামের আদিবাসী-প্রধান বহু এলাকাও সংবিধানের ষষ্ঠ শিডিউল অনুসারে স্বশাসনের অধিকার ভোগ করে, সেখানেও এই নতুন বিল প্রযোজ্য হবে না। এদিন ক্যাবিনেট বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর জানান, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে মন্ত্রিসভা আজ বেশ কয়েকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অন্যতম হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দেওয়া।" সংসদে পেশ করার পর এই বিলটি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলের বিষয়বস্তু নিয়ে মি জাভড়েকর বিশেষ কিছু প্রকাশ না-করলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রেই বিবিসিকে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়েই প্রস্তাবিত বিলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এদেশের গবেষকরাও বলছেন, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সংজ্ঞাকেই চিরতরে বদলে দেবে এই বিল। ভারতে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে গবেষণা করে থাকে পিআরএস লেজিসলেটিভ, ওই সংস্থার সাবেক ফেলো তৃণা রায়ের কথায়, "এই বিলটার মূল কথা হল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিশেষ একটা ক্যাটেগরি এখন ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন।" "যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢুকেছেন কিংবা মেয়াদের পরেও এদেশে থেকে গেছেন তাদের সবাইকেই এতদিন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা হত।" "কিন্তু এরা যদি আমাদের মুসলিম-প্রধান তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু হন তাহলে তাদের আর সেটা বলা যাবে না", জানাচ্ছেন তিনি। ভারতীয় পাসপোর্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বা অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের মতোই এটা ছিল বিজেপির বহু পুরনো অঙ্গীকার - বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের 'অনুপ্রবেশকারী' বলা হলেও হিন্দুদের তারা 'শরণার্থী' বলেই বর্ণনা করে এসেছে। নতুন বিলে সেই কথিত শরণার্থীদের নাগরিকত্বের মর্যাদা বা আইনি অধিকারটাই স্বীকৃতি পাচ্ছে। বিজেপি এমপি রাকেশ সিনহার কথায়, "এই হিন্দু-বৌদ্ধদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।" "কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দেব, নেহরু-লিয়াকত চুক্তির জেরেই কিন্তু পাকিস্তানে হিন্দুদের জনসংখ্যা শতকরা ১৩ ভাগ থেকে ১ ভাগে নেমে এসেছে, আর বাংলাদেশে হয়েছে ২৩ থেকে ৬ শতাংশ।" "কিন্তু ভারত এই হিন্দুদের হারিয়ে যেতে দেবে না, তাদের মর্যাদার সঙ্গে ঠাঁই দেবে", বলছেন মি সিনহা। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢোকা বাংলাদেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কোস্টগার্ড। পোর্ট ব্লেয়ার, ২০০৯ এই বিলটি আগামী সপ্তাহেই লোকসভায় পেশ হতে যাচ্ছে, তার আগে বিষয়টি নিয়ে তাদের দলেও আলোচনা হবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি কাকলি ঘোষদস্তিদার। তিনি জানাচ্ছেন, "এর আগে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরির প্রস্তাব তো আমরা পুরোপুরি বিরোধিতা করেছি।" "এখন এই বিল নিয়ে ঠিক কী করা হবে তা আমরা লোকসভায় বিলটি পেশ করার আগেই চূড়ান্ত করে ফেলব।" তৃণমূল ছাড়াও আরজেডি, কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ অনেক বিরোধী দলই পার্লামেন্টে বিলটিতে বাধা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন লোকসভায় তো বটেই, এমন কী রাজ্যসভায় যেখানে শাসক জোটের গরিষ্ঠতা নেই - সেখানেও তারা বিলটি শেষ পর্যন্ত পাস করিয়ে নিতে পারবে। আরো খবর: ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট তদন্তে 'প্রবল' প্রমাণ মিলেছে সীমান্তে রাতের বেলায় বিজিবি-গ্রামবাসী পাহারা কেন নেপাল গাধিমাই: 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় রক্তাক্ত' উৎসব
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ সে দেশের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে - যে আইন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চীনের বাইরে ফিলিপিন্সে প্রথম কোন ব্যক্তির করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী ওই চীনা ব্যক্তি হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ‌এসেছিলেন, যেখানে প্রথম ভাইরাসটি সনাক্ত করা হয়েছিল। ফিলিপিন্সে পৌঁছানোর আগেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনশ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার জনেরও বেশি। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রদেশে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ চীন থেকে বিদেশীদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে কিছু সময়ের জন্য তাদের আলাদা করে রাখছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা সার্সের প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০০৩ সালে ২৪টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে নতুন ভাইরাসের মৃত্যুর হার অনেক কম, ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে এটি মারাত্মক নয়। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আরও পড়তে পারেন: ছবিতে উহানের ৩১২ বাংলাদেশির স্বদেশযাত্রা চীন থেকে আগতদের জন্য দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ বিমানবন্দরগুলোয় জ্বর মাপার মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়। এই মৃত্যু সম্পর্কে যা জানা গেছে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপিন্সে গিয়েছিলেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এক চীনা নারী। গত সপ্তাহে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা গেছে বলে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে শুরুতে ওই ব্যক্তিকে রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গুরুতর নিউমোনিয়া দেখা দেয়। ফিলিপিন্সে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রবীন্দ্র আবেসিংহে, সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন: "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এটিই প্রথম কোন মৃত্যুর ঘটনা। তবে, আমাদের মনে রাখা দরকার যে স্থানীয় কারও সাথে এমনটি হয়নি। এই রোগী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল থেকেই এসেছিলেন।" মিঃ ডিউক বলেছেন, "এই রোগটি প্রতিরোধে বর্তমানে আমরা চীনা দূতাবাসের সাথে কাজ করছি। আর যে ক'জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যায়, সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে।" ওই ব্যক্তির মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি। এখন ওই ব্যক্তির সাথে কারা একই ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর। যাতে তাদেরকে আলাদা করে রাখা যেতে পারে। ৩১২ জন বাংলাদেশিকে, চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া, ওই ব্যক্তি পরে অন্য যাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন যেমন হোটেল কর্মী, তাদের সবাইকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চীন থেকে আসা বিদেশী যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিলিপিন্স। এর আগে কেবল হুবেই প্রবেশ থেকে আসা ভ্রমনকারীদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল যা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে।
করোনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে ফিলিপিন্সে প্রথম কোন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ব্রিটেনে ১৪ই ডিসেম্বর থেকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ১৮ই ডিসেম্বর প্রকাশিত এক হিসাবে ইংল্যান্ডে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬৫০,০০০। আগের সপ্তাহে ঐ সংখ্যা ছিল ৫৭০,০০০। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে লন্ডনে। কিন্তু লন্ডনের স্বাস্থ্য কর্মীরা বলছেন, সংক্রমণের ভীতি বাড়লেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ প্রস্তাব পেয়েও ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করছেন। ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বা এনএইচএসের কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক- যিনি লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যমলেটস এলাকার একটি জিপি সেন্টার বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক- বিবিসি বাংলাকে বলেন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরুর প্রথম সপ্তাহেই তারা সন্দেহ, বিভ্রান্তি এবং আপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন। “আমরা যখন ফোন করে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি, অনেক মানুষ গড়িমসি করছেন, নানা প্রশ্ন করছেন। অনেকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছেন।“ ব্রিটেনে ১৫ই ডিসেম্বর ফাইজার/বায়োনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৮০ বছর এবং তার ঊর্ধ্ব বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মোস্তফা ফারুক জানান প্রথম সপ্তাহে টাওয়ার হ্যামলেটসের ৩৬টি জিপি সার্ভিসের মাধ্যমে ৮০ বা তার ঊর্ধ্ব ৯৩৫ জনকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আপত্তি-অনীহার কারণে লক্ষ্যমাত্রার ৪৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। ফলে, বেঁচে যাওয়া ভ্যাকসিনগুলো ডাক্তার, নার্স বা অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। মি. ফারুক জানান, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পরে ডাক্তাররা নিজেরাই মানুষের বাসায় ফোন করেছেন, কিন্তু তারপরও অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে সরাসরি অস্বীকার করেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন - একজন জিপি একদিনে ২৫ জনকে ফোন করেছিলেন কিন্তু তাদের সাত জন সরাসরি ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করেন, বাকি পাঁচজন নানা কারণে আসতে অপরাগতার কথা জানান। আপত্তির কারণ কি? মোস্তফা ফারুক বলেন, “মানুষের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহ কাজ করছে। তাদের নানা প্রশ্ন। কেউ বলছেন কীভাবে এত তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন বের করা সম্ভব হলো, ঠিকমত ট্রায়াল হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তারা। অনেকে সন্দেহ করছেন বয়স্কদের হয়তো গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।“ মি ফারুক বলেন, তাদের জিপি সার্জারি থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি নানা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। “সাম্প্রতিক সময়ে ভ্যাকসিন বিরোধী বিভিন্ন গ্রুপ সোশ্যাল মিডিয়াতে যেসব প্রচারণা চালিয়েছে অনেক মানুষ তাতেও প্রভাবিত হচ্ছেন।“ আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের টিকা: মাইক্রোচিপ, ডিএনএ পরিবর্তন এবং অন্যান্য গুজব করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে ভ্যাকসিন বিরোধী সমাবেশ, ডিসেম্বর ১২, ২০২০ একই কথা বলেছেন টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার সমাজকর্মী নবাব উদ্দিন যিনি ইস্ট হ্যানডস নামে একটি দাতব্য সংস্থার সাথে জড়িত। বিবিসি বাংলাকে নবাব উদ্দিন জানান, সম্প্রতি এলাকার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের ওপর পরিচালিত সংক্ষিপ্ত একটি জরিপে তারা দেখেছেন কোভিড এবং ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি সন্দেহ কাজ করছে। “উত্তর দাতাদের ৬৫ শতাংশই বলেছেন ভ্যাকসিন নেবেন কিনা তা নিয়ে তারা নিশ্চিত নন। অপেক্ষা করে দেখবেন।“ মি উদ্দিন বলেন, সমাজের কিছু অংশে সঠিক তথ্য প্রবাহের দারুণ ঘাটতি রয়েছে। “মানুষের ভেতর নানা ধরনের অদ্ভুত সব ধারণা রয়েছে। অল্প শিক্ষার কারণে বিশেষ করে বয়স্করা নিজেরা খবর তেমন পড়েন না বা দেখেন না। অন্যের কাছে শোনেন এবং কান কথা বিশ্বাস করেন, নানা গুজব ঘোরাফেরা করে।“ ব্রিটিশ সরকার বলছে প্রথম সপ্তাহেই ছয় লাখেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। হারাম না হালাল বিশ্বের অনেক দেশের মত ব্রিটেনেও মুসলিমদের একাংশ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দিহান। ব্রিটিশ বোর্ড অব স্কলারস অ্যান্ড ইমামস (বিবিএসআই)- যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইসলামী শরিয়তের ব্যাখ্যা দেয় - তারা এ সপ্তাহে তাদের একটি বিবৃতিতে বলেছেন কোভিড ভ্যাকসিনের ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অনেকেই তাদের কাছে প্রশ্নে করছেন। যেমন, সংগঠনটি বলছে, এসব ভ্যাকসিনে যদি হালাল কায়দায় জবাই না করা গরুর বা শুয়োরের কোলাজেন থেকে তৈরি জেলাটিন থাকে, তাহলে তা হালাল হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরও অনেক মুসলিম চাইছেন। বিবিএসআই, যাদের সাথে অনেক চিকিৎসকও জড়িত, তারা তাদের এক বিবৃতিতে মুসলিমদের আশ্বস্ত করেছেন ফাইজার বা মডার্নার ভ্যাকসিনে কোনো জেলাটিন ব্যবহৃত হয়নি।তারা নানা হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ইসলামে অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের চেষ্টার নির্দেশ রয়েছ। তারা বলেছে, কোনো ওষুধে জেলাটিন বা এমন কিছু পদার্থ যদি থাকেও যা সাধারণভাবে হারাম বলে বিবেচিত হতে পারে, তাহলেও জীবন বাঁচাতে সেই ওষুধ সেবন হালাল। মোস্তফা ফারুক বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে যে কোনো ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালানোর সময় একটি অংশ ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। ব্রিস্টলে ১২ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন বিরোধী সমাবেশে প্লাকার্ড হাতে একজন তিনি জানান প্রতি বছর ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় এমন অভিজ্ঞতা হয়। এজন্য তারা স্থানীয় কম্যুনিটি নেতা এবং মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেন। “তবে এই সমস্যা বড় কোনো সমস্যা নয়। যেমন আমাদের জিপি সার্জারিতে মাত্র দুইজন মুসলিম নারী ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছেন।“ শুধু মুসলিম নয়, অন্যান্য জাতি গোষ্টীর মধ্যেও ভ্যাকসিন বিরোধিতা রয়েছে, এবং এদের অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার। ব্রিস্টল শহরে গত ১২ই ডিসেম্বর অনেক মানুষ ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ব্রিটিশ মুসলিম চিকিৎসকদের সংগঠন ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইবিএম) জেনারেল সেক্রেটারি ড সালাম ওয়াকার বলেছেন, মুসলমানরা ধর্মীয় কারণে ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দিহান এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তুরস্কের সরকারি মিডিয়া টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে এক সাক্ষাৎকারে ড. ওয়াকার বলেন, “বিষয়টি হচ্ছে কম্যুনিটিকে আস্থায় নেওয়া। তাদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করা যেটা রাতারাতি হয় না। যে স্বাস্থ্য বিভাগ বছরের পর বছর অনেক মানুষের খোঁজই নেয় না, তারা যদি হঠাৎ মানুষের দরজায় টোকা দেয় অনেক মানুষ সন্দিহান হয়ে পড়তেই পারে।“ “ভ্যাকসিন নিয়ে যাদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করছে তাদের অনেকেই তাদের অনেক প্রশ্নর জবাব পাননি।“ মোস্তফা ফারুক বলেন, কোভিড প্যানডেমিক শুরুর পর গত নয় মাস ধরে সাধারণ মানুষের সাথে ডাক্তারদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটাও ভ্যাকসিন নিয়ে এই দ্বিধা ও সন্দেহের অন্যতম একটি কারণ। “মার্চ থেকে ডাক্তারদের সাথে মানুষের মুখোমুখি দেখা হয়না বললেই চলে। ডাক্তাররা টেলিফোনে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে যোগাযোগের যে একটি ঘাটতি তেরি হয়েছে কোনো সন্দেহ নেই। ডাক্তাররা যদি মুখামুখি বসিয়ে তাদের বোঝাতে পারতেন তাহরে হয়তো দ্বিধা অনেকটা কাটতো।“
নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের জেরে ব্রিটেনে সংক্রমণ এত দ্রুত বাড়ছে যে সরকারি হিসাবেই ইংল্যান্ডে এখন প্রতি ৮৫ জনের একজন সংক্রমিত।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জুবায়ের আহমেদ অতীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা হত্যাকাণ্ড বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটছে বলে আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে। বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। একই সাথে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারা-দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জন আসামীর মধ্যে দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন-দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজনকে আদালত খালাস দিয়েছেন। দণ্ডিতরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। আরো দেখুন: যেভাবে ছড়ায় সাংবাদিক ও পুলিশের বচসার ভিডিও হাসপাতালে বাচ্চা বদল: সিনেমার চেয়েও নাটকীয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন তিনি মারা যান। তার হত্যার পর ক্যাম্পাসে এ নিয়ে যে তীব্র আন্দোলন শুরু হয় তাতে সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে একটি বড় অংশ মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় দেয়ার সময় বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিণতি হল এই হত্যাকাণ্ড।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তর যেখানে সোনার ভল্ট রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, "সামান্যতম সংশয় বা সন্দেহ থাকলে সেটা যেন দূরীভূত হয়, যদি কোন গাফিলতি ঘটে থাকে, ঘুণাক্ষরেও ঘটে থাকে, সেটা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।" বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে বিতর্কের শুরু। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গচ্ছিত স্বর্ণ কোথা থেকে আসে? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব জানিয়েছেন, দেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভল্টে ঢোকার অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র জব্দ হওয়া স্বর্ণের। তিনি বলছেন, "কাস্টমস বা অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চোরাচালান বা চুরি-ডাকাতির যে স্বর্ণ আটক করে, সেগুলো কোর্টের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে থাকে।" এই গচ্ছিত স্বর্ণ পরে কি হয়? যখন ঐ সংস্থাগুলো স্বর্ণ বার, গয়না বা অন্য কোন মূল্যবান ধাতু রাখতে আসে সেটিকে অস্থায়ী ভাবে জমা গ্রহণ করা হয়। ভল্টে সোনার বারগুলো এভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়। আরও পড়তে পারেন: সরকারি চাকুরিতে কোটা কি রাখতেই হবে? তিন তালাক: শ্বশুরের সাথে রাত কাটায় শাহবিনা উদ্ধার হওয়ার পর হাসপাতাল ছেড়েছে থাই কিশোররা যখন আদালতের নির্দেশ আসে যে রাষ্ট্রের অনুকূলে এই স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হল তখন সেটি বিক্রি করে তার অর্থ সরকারকে দিয়ে দেয়া হয়। রাষ্ট্রের অনুকূলে বিষয়টি কোর্টে নিষ্পত্তি হলে, এমন স্বর্ণ যদি বার আকারে থাকে, বলা হয় তা প্রায় ৯৯% খাটি, তা আসলে ক্রয় করতে পারে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে। তা ক্রয় করে সরকারকে অর্থ দিয়ে দেয়া হয়। কোর্টে নিষ্পত্তি হয়না যে স্বর্ণের সেগুলো অস্থায়ীভাবে জমা থাকে। এরকম কত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সাল খেতে ২০১৫ পর্যন্ত সর্বশেষ হিসেব দিতে পেরেছে। সংস্থাটি। সে সময় ভল্টে তদন্তাধীন স্বর্ণ গচ্ছিত ছিল ৯৩৬ কেজি যা প্রায় এক টনের কাছাকাছি। যার মধ্যে ছিল সোনার বার ও গয়না। গচ্ছিত স্বর্ণ যদি গয়না হয় তবে কোর্টে নিষ্পত্তির পর সেটি স্বর্ণকারেরা কিনতে পারে। গচ্ছিত স্বর্ণের নিরাপত্তা দেয়া হয় কিভাবে? যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা হল ২০১৫ সালে গচ্ছিত প্রায় ৩৫০ কেজি স্বর্ণ নিয়ে। যে প্রতিবেদনটির মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এতটা আলাপ হচ্ছে তাতে বলা হয়েছে ঐ স্বর্ণ ছিল চাকতি ও আংটি কিন্তু তা পাওয়া গেছে মিশ্র ধাতু আকারে। আর ঐ স্বর্ণ ছিল ২২ ক্যারেট কিন্তু তদন্তে পরীক্ষার পর নাকি তা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। গচ্ছিত বেশিরভাগ স্বর্ণের ক্ষেত্রেই নাকি অসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমে এমনটাই এসেছে। ব্যাংকে সোনার বার ছাড়াও এ ধরনের অনেক গয়নাও রাখা হয়। কিন্তু এসব স্বর্ণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আসলে কেমন? যে স্বর্ণ নিয়ে বিতর্ক তখন ক্যাশের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যাংকে ৭০ জন পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট রয়েছে যারা অন্য কোথাও পাহারায় যায়না, তারা টাকশাল থেকে টাকাও আনতে যায় না। তারা শুধু এখানেই সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়। ভল্ট এলাকাকে বাংলাদেশে ব্যাংকের ভাষায় 'মহা নিরাপত্তা এলাকা' বলা হয়। স্বর্ণের যে ভল্ট সেখানে ঢুকতে গেলে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ও গেটি কিপিং পার হতে হয়। শুরুতে পাঞ্চ কার্ড, তার পর কলাপসিবল গেট যেখানে দেহ তল্লাসি হবে। স্বর্ণ বা বুলিয়ন ভল্ট পর্যন্ত তিনটি ভল্টের দরজা রয়েছে। আর সেই ভল্টে আলাদা আলমারির গুলোর আলাদা আলাদা চাবি। কিন্তু সেই চাবিও আবার সিন্দুকে রাখা হয়। আর তার দায়িত্বে থাকেন মাত্র দুজন। এই পুরো প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়ে মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব বলছেন, "রাত্রে ভল্ট বন্ধ করে যাবার পর এমনকি গভর্নর এসে ঢুকতে চাইলেও তাকে পুলিশ ঢুকতে দেবে না।" সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিলো সারা বিশ্বের ব্যাংকগুলোতেই স্বর্ণের ভল্টে ঢোকার অধিকার তাহলে কাদের রয়েছে? মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব বলছেন, "এখানে ঢোকার অধিকার রয়েছে শুধু কারেন্সি অফিসার, জয়েন্ট ম্যানেজার বুলিয়ন (স্বর্ণ), জয়েন্ট ম্যানেজার ক্যাশ এবং ডিজিএম ক্যাশ। এরাই শুধু ঢুকতে পারেন। কারেন্সি অফিসার যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে তার অনুমতি যিনি পাবেন তিনি শুধু যান। এখানে গভর্নর বা ডেপুটি গভর্নর এবং সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা , অননুমোদিত ব্যক্তিদের যাওয়ার কোন অধিকার নেই, প্রয়োজনও নেই।" কিন্তু এতসব নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে স্বর্ণ নিয়ে গরমিলের যে অভিযোগ আসছে সেটি সম্পর্কে বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলছেন, "আমি এটিকে এখনো পর্যন্ত অভিযোগই বলবো। কিন্তু যদি এমন কিছু যদি সত্যিই হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশে ব্যাংকে ভীষণ খারাপ দিন যাচ্ছে।" "আমি বলবো এর পুরো ওভারহলিং দরকার। মানুষের মনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কে সন্দেহ বেড়ে গেছে।" ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় দশ কোটি দশ লক্ষ ডলার চুরি হয়েছিলো। যাকে বলা হয় আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক তহবিল লোপাট বা রিজার্ভ চুরির ঘটনা। সেই অর্থ পুরোটা এখনো উদ্ধার হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে গচ্ছিত কিছু স্বর্ণের পরিমাণ ও ধরন বদলে গেছে বলে তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সেনিয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে জরুরি বৈঠকের পর বলেছেন, "আমি খবরটি পড়ে আঁতকে উঠেছি।"
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কোভিড-১৯ রোগটির কারণে জ্বর, কাশ এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কোভিড-১৯ রোগটির কারণে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এটি পুরো বিশ্বের এক লাখ ১১ হাজার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে চীন এবং অন্য দেশের আক্রান্তদের নিয়ে গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দল। তারা বলছেন, ৫ দিন বা এর আশপাশের দিনগুলোতেই মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকলেও যাদের মধ্যে ১২ দিন পর্যন্ত কোন উপসর্গ দেখা দেয় না তাদের আর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তখনও তারা ভাইরাসটির বাহক হিসেবে কাজ করেন এবং তাদের কাছ থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, যারা ভাইরাসটির বাহক বা সংক্রামক তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিক আর না দিক, তারা যাতে ১৪ দিন স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকে যাতে তাদের মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হয়ে না পড়ে। তারা যদি এই নির্দেশনা মেনে চলে- তাহলে ধারণা করা হচ্ছে যে, যদি ১০০ জনকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় তাহলে বের হয়ে আসার পর তাদের মধ্যে অন্তত একজনের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন নামে একটি চিকিৎসা বিষয়ক জার্নালে। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এই নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে। জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর প্রধান গবেষক অধ্যাপক জাস্টিন লেসলার বলেন, ১৮১ টি নমুনা বিশ্লেষণ করে পাওয়া এই তথ্য এখন পর্যন্ত দ্রুত সময়ে পাওয়া সবচেয়ে যথার্থ অনুমান। তবে ভাইরাসটি নিয়ে এখনো আরো অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে বলেও জানান তিনি। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে যেভাবে হাত ধুতে হবে সর্বোপরি কতজন মানুষের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে এই গবেষণায় সেটি পরিমাপ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় তারা মৃদু সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেকে উপসর্গ প্রতিরোধী হয়ে থাকে অর্থাৎ তার মধ্যে ভাইরাস থাকলেও কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই রোগটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হয়ে দেখা দিতে পারে-বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাদের মধ্যে আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে এই শঙ্কা বেশি থাকে। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের মলিকুলার ভাইরোলজির বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জোনাথন বল বলেন, গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসটির উন্মেষ পর্ব ১৪ দিন থাকে এবং এ কারণেই কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন রাখার কথা বলা হয়। আর আশার কথা হচ্ছে, "উপসর্গ প্রতিরোধী অবস্থায় থাকাকালীন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রমাণ থাকলেও তা খুবই নগণ্য।" নিজেকে সুরক্ষিত রাখার এবং সংক্রমণ প্রতিহত করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে: •আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা •আধোয়া হাত চোখ, নাক এবং মুখে না দেয়া •হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা এবং সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা •সাবান এবং পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া। বিবিসি বাংলার আরো খবর পড়ুন: করোনাভাইরাস যেভাবে কেড়ে নিল এক বাংলাদেশির প্রাণ খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লেখা চিঠিতে যা আছে শেখ মুজিব কীভাবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নেতা হয়েছিলেন?
মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিতে গড়ে প্রায় ৫ দিন সময় লাগে। এমন তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সরকারিভাবে এগুলোকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র বলা হলেও মূলত কিশোর অপরাধীদের জেলখানা বা সংশোধনকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত বেশি। মূলত ১৮ বছরের কমবয়সী অপরাধী বা অভিযুক্তদের আটকে রাখার জন্য এই কেন্দ্রগুলো ব্যবহৃত হয়। এই ১২১ জন শিশুকে আটকের পর বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বিশেষ বাহিনী র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের সাজা দিয়েছিল। এরপর এই শিশুদের গাজীপুর এবং যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। শিশুদের সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর তা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। দু'জন আইনজীবী পত্রিকার এই খবর সম্পর্কে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। একজন আইনজীবী জানিয়েছেন যে, আদালত এই শিশুদের মুক্তির নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোন শিশুকে সাজা দিতে পারে না। শিশুরা অপরাধ করলে শিশু আদালত তার বিচার করবে। আদালত এটাও উল্লেখ করেছে যে, ভ্রাম্যামাণ আদালতের কোন শিশুকে আটক করে রাখার এখতিয়ার নেই। আরো খবর: চাকরি হারানোর ভয় জেঁকে বসেছে গণমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে আমাদের ধ্বংস করতে পারে ফেসবুকে মিথ্যা খবর ছড়াতেই 'রাজনীতিবিদ' হচ্ছেন যিনি
বাংলাদেশে হাইকোর্ট গাজীপুর এবং যশোরের কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে, যেগুলো কিশোরদের জেলখানা বা সংশোধনকেন্দ্র হিসেবে বহুলভাবে পরিচিত, সেখানে আটক রাখা ১২১ জন শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক মাদকবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরো কয়েকশ' সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির আওয়ায় গত চৌঠা মে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও র‍্যাব। তাদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তারা মাদক-ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর। তবে চিহ্নিত অপরাধী বলে যাদের বন্দুকের নলের সামনে আনা হচ্ছে তাদের কেন আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছেনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। মানবাধিকার কর্মীরা এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালা ও দেশের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তবে শুধু আবেদন জানানোই কি যথেষ্ট? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি নিয়ে কি করছে? এ বিষয়ে জানত চাওয়া হয় কমিশনের চেয়ারম্যান কাজি রিয়াজুল হকের কাছে। বাংলাদেশে এখন অন্য সব মাদক ছাড়িয়ে গেছে ইয়াবার ব্যবহার। তিনি জানান, কোন মানুষকে বন্দুকযুদ্ধে বা তথাকথিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে তারা সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন এবং তারা বিষয়গুলো সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। সরকার পক্ষকে তারা জানান, এ ধরণের অভিযানে চুনোপুটিদের ঘায়েল করা গেলেও পার পেয়ে যায় গডফাদাররা। তাদের ধরতে না পারলে সরকারের এই মাদক বিরোধী বিফলে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে, রিয়াজুল হক জানান এসব অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার কোন সুযোগ মানবাধিকার কমিশনের নেই। এ সংক্রান্ত সব তদন্ত সরকারের মাধ্যমেই করতে হয় বলে জানান তিনি। পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি থেকে মাদক ব্যবসায়ী এবং এই চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে রিয়াজুল হক জানান তারা সেই তালিকা ধরে ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারও করছে পুলিশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই মাদক উদ্ধার অভিযানের সময়ে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানান রিয়াজুল হক। বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজনদের যে তালিকা তৈরি করছে সেটা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে এই অভিযান পরিচালনা করার আহ্বান জানান তিনি। । যেন কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি এর শিকার না হয়। রিয়াজুল হক জানান, সবার মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন রক্ষা করেই মাদক নির্মূল করতে হবে। এতে যেন কারো মানবাধিকার বিসর্জন দিতে না হয়। চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই দিক নির্দেশনা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। আরো পড়ুন: 'ডাকি নিই যাই আমার স্বামীরে তারা মারি ফেলিসে' 'মাদক ব্যবসার চেয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা বড় অপরাধ' যেভাবে শুরু হলো মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের উদাহরণ টেনে রিয়াজুল হক জানান, আপাত দৃষ্টিতে সরকার কখনোই মানবাধিকার সংস্থার বিপরীতে কোন বক্তব্য দেয়নি। তারাও সবসময় আইনের আওতায় বিচার করার কথা জানিয়ে আসছে। রিয়াজুল হক বলেন, মাদকের মতো মরণ নেশা সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের মাদক বিরোধী পদক্ষেপকে স্বাগত জানান তিনি। তবে সরকারের কোন ভূমিকা যেন আইনের লঙ্ঘণ না করে সে ব্যাপারে তিনি সব পক্ষকে সতর্ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান রিয়াজুল হক।
মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি এই প্রক্রিয়ার বৈধতা, উদ্দেশ্য এবং কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ ও উদ্বেগ জোরালো হচ্ছে। অনেকেই একে বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ করছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মি: পম্পেও এ মন্তব্য করেন। রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি 'স্বাভাবিক দেশের' মতো আচরণ করে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার স্বার্থ আক্রান্ত হলে তারা সমুচিত জবাব দেবে। ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ হবেনা। গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায়না। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়াকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ সেটি নাকচ করে দিয়েছে। মি: ল্যাভরভ বলেন, যেভাবে নিকোলাস মাদুরোকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটি 'অগণতান্ত্রিক'। আরো পড়ুন: ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ইরান কী বলেছে? এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লাহ খামেনির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন সেটির বদলে ভিন্ন কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে কোন আপোষ করবে না ইরান। মি: খামেনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাইনা, তারাও যুদ্ধ চায়না।" সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে মি: রুহানি বলেন, ইরানকে কেউ ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে। গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক 'অন্তর্ঘাতী আক্রমণের' ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ ডলার 'ঘুষ' দিলো শিশু
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, তার দেশ ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায় না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকার গণপরিবহণ ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই আগামী সংসদ অধিবেশনে এই আইন পাশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই আইন পাশ হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে মি: কাদের বলেন, "তাদের যে দাবিগুলো, সেসব দাবির সমাধান এ সড়ক পরিবহন আইনের মধ্যে আছে। এই যে রাস্তায় পাখির মতো, মাছির মতো মানুষ মরার প্রবণতা এটার উপর একটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে।" তবে সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি মি: কাদের। আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো: ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল গত বছরের মার্চ মাসে সড়ক পরিবহন আইনটির খসড়া অনুমোদন করেছিল মন্ত্রীসভা। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। দীর্ঘ ১৪ মাস পরে ছাত্র বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে আইন মন্ত্রণালয় সেটির ভেটিং শেষ করেছে। মন্ত্রীসভায় যখন আইনটির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছিল তখন মন্ত্রীপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের যে বিষয়গুলো জানিয়েছিলেন তার কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো। ১. প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে অষ্টম শ্রেনি পাশ করতে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন ছিল না। ২. চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। ৩. গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। অবশ্য একই বিধান আগেও ছিল। ৪. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। ৪. চালকদের পয়েন্ট কাটার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হবে। ৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। ৬. গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে প্রস্তাবিত আইনে। ৭. বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কিংবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটালে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৮. নতুন আইনে সড়কে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো বা রেস করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। ৯. আইনে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে এবং এক্ষেত্রে পরোয়ানা ছাড়াই চালককে গ্রেপ্তারও করা যাবে। ১০. লাইসেন্স-বিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে এই আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও, দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে তার বিচার ফৌজদারি আইনেই হবে। আরো পড়ুন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভে অচল ঢাকা সব দাবী মেনে নিয়েছি, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাপটে যাত্রীরা অসহায় 'চালকদের নিয়ে আইন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কম ভূমিকা রাখবে' এ আইনে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে? নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক মনে করেন এ আইনে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরবে না। "গণ-পরিবহনে কোন আইন দরকার নাই। এটা একটা পরিকল্পনা। বিজ্ঞান বলে পরিকল্পনাটা এমন হতে হবে যাতে সেটি হয় স্ব-নিয়ন্ত্রিত এবং বেশিরভাগই মানতে বাধ্য হবে। এবং বাকি কেউ যদি অপরচুনিস্ট (সুযোগ সন্ধানী) হয়, তাহলে আইন দিয়ে তাকে শাসন করতে হবে।" অধ্যাপক হক বলেন, পরিকল্পনাতেই আসল 'গলদ' রয়েছে। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য আইন প্রণয়নের চেয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদল বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশে বর্তমান সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা 'বিশৃঙ্খল এবং উচ্ছৃঙ্খল' অবস্থায় রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। "আগে গুলশান এলাকায় ১১-১২টি পরিবহন কোম্পানি সেবা দিত। আমাদের প্রয়াত মেয়র ঢাকা চাকা নামে একটা পরিবহন কোম্পানি চালু করে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে চালকরা রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে, যাত্রীর দিকে তাকায় না। এবং সুশৃঙ্খলভাবে সেটি চলে।" তিনি বলেন, গণ-পরিবহন নিয়ে যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে শুধু আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সমস্যার কোন সমাধান হবে। অধ্যাপক হক প্রশ্ন তোলেন, "গণ-পরিবহনের সিস্টেমটা এতো বেশি অপরিকল্পিত যে এখানে হান্ড্রেট পার্সেন্ট যদি ভুল থাকে, তাহলে আপনি শাসন করে কতটুকু উন্নতি করতে পারবেন?" তিনি বলেন সমগ্র ঢাকার বাসগুলোকে যদি একটি কোম্পানির আওতায় আনা যায় তাহলে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব বন্ধ হবে। পরীক্ষামূলক-ভাবে এ পদ্ধতি গুলশান এবং হাতিরঝিল এলাকায় সফল হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যবস্থা ঢাকা শহরে যেদিন থেকে চালু হবে ঠিক তার পরদিনই শহরের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অধ্যাপক হক বলেন। এজন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: কে কীভাবে দেখছেন?
বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন আইনের একটি খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
Kevin de Bruyne: Watch his wonder goal from all the best angles এবারের বিশ্বকাপে আগাম ধারণা করতে গিয়ে বিশ্লেষকদের যেখানে ঘাম ছুটে যাচ্ছে, সেখানে বেলজিয়ামকে ফেভারিট মনে করতে কোনো দ্বিধা দেখালেন না বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। কেন বেলজিয়াম? মি. হক বলছেন, ব্রাজিলের মত 'অল-রাউন্ড" দলকে যেভাবে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে হারালো, তাতে বেলজিয়াম এখন শিরোপার এক নম্বর দাবিদার। "দল, কোচ, ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং অ্যাটাক - এই পাঁচটি বিষয়ের বিবেচনায় গ্রুপ স্টেজে ব্রাজিলকে পাঁচের মধ্যে পাঁচ দিতেই হতো। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে (জাপান এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটো) বেলজিয়ামকে সাড়ে পাঁচ দিতে হবে।" বেলজিয়ান কোচ মার্টিনেজকে নিয়ে মুগ্ধ মি. হক। "শেষ দুই ম্যাচে কৌশল প্রয়োগে অসামান্য বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন তিনি।" বিশ্বের বহু সাবেক ফুটবলার এবং ফুটবল ভাষ্যকাররা এখন সম্ভাব্য কাপ জয়ী হিসাবে বেলজিয়ামের নাম করছেন। ইংল্যান্ড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড বলছে, অন্য তিনটি দলের এখন এক নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী বেলজিয়াম। "বেলজিয়ামকে হারাতে হবে তাদের ।" বেলজিয়ামের গোল্ডেন জেনারেশন এডিন আজা, কেভিন দ্য ব্রাইনা বা রোমেরু লুকাকু বর্তমানে ইউরোপীয় ফুটবলের তিন নক্ষত্র। কিন্তু তারপরও বেলজিয়াম সম্পর্কে অনেকের একটাই দ্বিধা ছিল যে তারা কখনো বিশ্বকাপ বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট জেতেনি। রিও ফার্ডিনান্ড এখন বলছেন, "টুর্নামেন্টের আগে এই দলটির মেন্টালিটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল, দুবছর আগে ইউরোতে তারা হতাশ করেছে। কিন্তু এখন তারা সমালোচকদের সঠিক জবাব দিতে পারছে, ব্রাজিলের মত দলকে তারা যেভাবে নাস্তানাবুদ করে হারালো, তাতে পরিষ্কার যে তাদের দাঁত এখন কতটা ধারালো।" বিবিসির ফুটবল ভাষ্যকার প্যাট নেভিন বলছেন, "বেলজিয়ামের কাপ জেতার সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বেশি... কোনো দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের প্রধান খেলোয়াড়দের ফর্মে থাকা।" ব্রাজিলের সাথে ম্যাচে আজা, দ্য ব্রাইনা এবং লুকাকু সেই প্রমাণ দিয়েছেন। কোচ রবার্তো মার্টিনেজ দ্বিতীয়বারের মত বেলজিয়ামকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এনে দিতে পেরেছেন। কীভাবে মার্টিনেজ বদলে দিয়েছেন বেলজিয়ামকে? জার্মানির বিশ্বকাপ (১৯৯০) জয়ী দলের তারকা ইয়োর্গেন ক্লিন্সম্যান বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের ব্যাপারে মুগ্ধ। "আপনি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন কী অসামান্য টিম স্পিরিট এখন তাদের, মার্টিনেজ দারুণ কাজ করেছেন।" ১৯৮৬ সালে বেলজিয়াম প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে। তারপর ৩২ বছর পর রবার্তো মার্টিনেজ আবারো তাদের সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দু'বছর আগে মার্টিনেজ ইংলিশ প্রিমিয়ারশিপ ক্লাব এভার্টন থেকে বরখাস্ত হন। কিন্তু বেলজিয়াম জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু তারপর পরপর গত ২৪ টি ম্যাচে বেলজিয়াম কারো কাছে হারেনি। রিও ফার্ডিনান্ড বলছেন, "আজা, দ্য ব্রাইনা বা লুকাকুর মত বড় বড় তারকাদের অহম বা ইগোকে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছেন মার্টিনেজ। তিনি পুরো দলকে একত্রিত করতে পেরেছেন, প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করার মত আস্থা আনতে পরেছেন।" "আর সে কারণেই দুবছর আগের বেলজিয়াম এবং এখনকার বেলজিয়ামের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।" ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান বলছেন, "বেলজিয়াম দলের আত্মবিশ্বাস দেখার মতো, পুরো দলের মধ্যে খুব ভালো কেমিস্ট্রি কাজ করছে, সবাই যেন একটি পাতায়। জাপান এবং ব্রাজিলের সাথে ম্যাচ চলার সময় যেভাবে মার্টিনেজ কৌশল পরিবর্তন করেছেন, খেলোয়াড় বদলেছেন, তাতে মুগ্ধ সাবেক ইংলিশ লেজেন্ড আ্যালান শিয়ারার। "যে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, সবগুলো কাজ করেছে।" রবার্তো মার্টিনেজ নিজে সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন তার দলের খেলোয়াড়দের। "আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে গর্বিত মানুষ...অমি তাদের কানে খুব কঠিন সব কৌশলের মন্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিই, এবং তারা যেভাবে তাতে আস্থা রেখে কাজ লাগানোর চেষ্টা করছে, তা অবিশ্বাস্য।
"আমি নির্দ্বিধায় মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে (ফ্রান্সের বিরুদ্ধে) বেলজিয়ামকে এগিয়ে রাখবো," বিবিসিকে বললেন ফুটবল ভাষ্যকার একেএম মারুফুল হক।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই অভিবাসী শিবিরে ১৩জন বাংলাদেশি ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। "তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে, আরো দুইজন আহত হয়েছেন।" বুধবার ত্রিপলির বাইরে একটি বন্দী শিবিরে ওই হামলায় অন্তত ৪০জন অভিবাসী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮০জন। এই হামলা 'যুদ্ধপরাধ' বলে বিবেচিত হতে পারে বলে জাতিসংঘ বলছে। লিবিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলেছে, বিরোধীদের বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার এর নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে। আরো পড়ুন: লিবিয়ায় অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় 'নিহত ৪০' কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? লিবিয়ার অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৪৪জন নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. খালিদ বিন আত্তিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, "প্রায় সব জায়গায় মানুষ ছিল। শিবিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে সেখানে মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। অনেকেই মানসিক আঘাতে হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগও।" হামলার জন্য দায়ী কে? ত্রিপলির পূর্বাঞ্চলে হামলাস্থল তাজুরায় কাজ করছেন জরুরী সেবা কর্মীরা জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই "জঘন্য অপরাধ" "পূর্বপরিকল্পিত" ও "নিখুঁত"। তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা। এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই যেভাবে করা হবে ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে সাতটি তথ্য জেনে রাখুন সৌদি আরবে নিকি মিনাজের কনসার্ট নিয়ে বিস্ময় 'গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে'
লিবিয়ার অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের একজন অধ্যাপক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত ২১ শে জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। করোনাভাইরাস শনাক্তে ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার পর থেকেই মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের পরস্পরকে দোষারোপের মধ্যেই পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ২৩শে জুলাই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন। তারপরই এই নতুন নিয়োগ ঘোষণা করা হল। এদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ফরিদ হোসেন মিঞাকে। বুধবার মোঃ আমিনুল হাসানকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বর্তমানে মি. হাসানকে ওএসডি রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মা ও নবজাতক মঙ্গলবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর এলাকায় ওই মেয়ে শিশুটির জন্ম হয়। সড়কের ওপর জন্ম হওয়ায় শিশুটির নাম রাখা হয়েছে সরণি। শিশুটির বাবা হাবিব হোসেন গাজীপুরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার রাতে তিনি কুড়িগ্রামে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার রাত থেকেই টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একপর্যায়ে যমুনা সেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ করেও দেয়া হয়েছি। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। হাবিব হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সোমবার রাতে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম। বাসে উঠতেও অনেক দেরি হইছে। যমুনা সেতুর অনেক আগে থেকে লম্বা যানজট শুরু হয়। দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকা আর গাড়িতে বসে থাকার ফলে আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। একপর্যায়ে পানি ভাঙ্গতে শুরু করলে বাস থেকে নেমে পথের পাশেই শুয়ে পড়েন।'' এ সময় বাসযাত্রীদের সহযোগিতায় পথের ওপরেই তার স্ত্রী একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের যত মিল-অমিল ঈদের চাঁদ নিয়ে সরগরম ফেসবুক কী ধরণের পুরুষ পছন্দ বাংলাদেশের মেয়েদের? আড়ং বন্ধের পর বদলি নাটক, সামাজিক মাধ্যম সরগরম স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল তালুকদার বলছেন, ওই ভদ্রমহিলার প্রসব বেদনা উঠতে দেখে একজন যাত্রী সরকারি জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে সহায়তা চান। ফোনটি স্থানীয় ভূয়াপুর থানার ওসি কাছে গেলে তার অনুরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স আর দুইজন সেবিকাকে সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা পৌঁছানোর আগেই সড়কের ওপর সন্তান প্রসব হয়ে যায় বলে তিনি জানান। পরে মা ও মেয়েকে চেকআপ করে তারা চিকিৎসা সেবা দেন। সোহেল তালুকদার জানাচ্ছেন, সড়কে সন্তান প্রসবের এই ঘটনার পর দরিদ্র পরিবারটির সাহায্যে অনেক বাসযাত্রী এবং পথচারীরা এগিয়ে আসেন। পরে তাদের আর্থিক সহযোগিতায় পরিবারটিকে একটি গাড়ি ঠিক করে দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে তারা ওই গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বাড়ি ফিরতে গিয়ে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে একজন নারী মহাসড়কে সন্তান প্রসব করেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গুলাম আহমেদ, পরিস্থিতির শিকার? এই সংগঠনটি রাজ্যের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে গড়া। পুলিশ জানিয়েছে, ঐ এলাকায় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে এক হিন্দু মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জেরে মঙ্গলবার একদল লোক গুলাম আহমেদের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু তিনি যখন তাদের গতিবিধি সম্বন্ধে কিছু জানাতে পারেননি, তখন তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। হিন্দু যুবা বাহিনী অবশ্য এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ওদিকে নিহত গুলাম আহমেদের পরিবার ভয়ে এখন তাদের গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ইদানীং যে হিন্দু যুবা বাহিনীর একচ্ছত্র দাপট, তাতে তাদের প্রধান দুটি এজেন্ডা হল গোহত্যা আর 'লাভ জিহাদ' প্রতিহত করা। অর্থাৎ ঐ রাজ্যে তারা যেমন গরু-মোষের চালান রুখছে, তেমনি ঝাঁপিয়ে পড়ছে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে প্রেমের ঘটনা ঠেকাতেও। হিন্দুত্বের নামে কোনও বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না বলে বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা, মুখ্যমন্ত্রী অদিত্যনাথ তাদের প্রকাশ্যে সতর্ক করে দিলেও হিন্দু যুবা বাহিনী তাতে কর্ণপাত করছে বলে মনে হয় না। গুলাম আহমেদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আরো দেখুন: সাত কেজি সোনা ফেরত দিয়ে প্রশংসা কুড়ালো বিমানবন্দর কর্মী ওসামা বিন লাদেনের জীবনের শেষ কয়েক ঘণ্টা বিয়ের আসরে ভুয়া বরযাত্রী: পাত্র কারাগারে আর সেটাই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেছে বুলন্দশহর জেলার পাহাসু গ্রামে। সেখানে তথাকথিত লাভ জিহাদের একটি ঘটনার অনুসন্ধানে এসে তারা চড়াও হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দা গুলাম আহমেদের ওপর। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এন সিং বিবিসিকে বলছিলেন, "ঐ মুসলিম যুবক ও হিন্দু যুবতীর পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই হামলার কিছুটা সম্পর্ক তো ছিলই। তবে মেরে ফেলার ঘটনাটা হঠাৎই ঘটে গেছে। গুলাম আহমেদকে হত্যা করার কোনও পরিকল্পনা ওদের ছিল না।" "উনি কিছুটা অসুস্থও ছিলেন সম্ভবত, আঘাতের ধাক্কাটা সামলাতে পারেননি। মোট পাঁচ-ছজন হামলাকারী ছিল। তিনজনকে আমরা ধরেও ফেলেছি, বাকিরা ফেরার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮ আর ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা আনা হয়েছে।" হামলাকারীরা হিন্দু যুবা বাহিনীর সদস্য কি না, পুলিশ তা নিয়ে কিছু বলতে চায়নি, যদিও নিহতের পরিবারের সদস্যরা আঙুল তুলেছেন বাহিনীর দিকেই। বাহিনীর নাম না-জানা ছ'জন সদস্যের বিরুদ্ধেই তারা এফআইআর করেছেন। তবে বুলন্দশহরে হিন্দু যুবা বাহিনীর বিভাগীয় প্রধান নগেন্দ্র তোমার দাবি করেছেন, তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ সদস্যরা এমন হিংসায় জড়াতেই পারেন না। তবে যদি দেখা যায় তাদের কেউ জড়িত তাহলে বাহিনী তাদের সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করবে। এই ঘটনার পর স্থানীয় মুসলামানদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। স্থানীয় একজন উর্দু টিভি সাংবাদিকের প্ররোচনাতেই নিহতের পরিবার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বলেও তিনি দাবি করেন। আর এই দাবি ও পাল্টা দাবির মধ্যেই গুলাম আহমেদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গুলাম আহমেদের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, "লোকটা আমায় কিছু না-বলে চলে গেল! বলেছিল চা বসাও তো একটু, দুধ না-থাকলে আমি দুধ নিয়ে আসছি। কিন্তু লোকটা আর ফিরলই না, আমায় এভাবে একলা ফেলে কীভাবে চলে গেল ..." নিহতের বাড়ির সামনে এখন বসেছে ২৪ ঘণ্টার পুলিশ পাহারা। কিন্তু গুলাম আহমেদের পরিবার তাতে আদৌ আশঙ্কামুক্ত হতে পারছে না, বরং তারা প্রথম সুযোগেই ভিটে ছেড়ে শহরে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। গুলাম আহমেদের বড় ছেলে ইয়াসিন বিবিসিকে বলছিলেন, "এই পুলিশ পাহারা আর কতদিন? দু'চারদিন বাদে এরা চলে গেলেই তো নির্ঘাত আবার হামলা হবে। আমরা খুব ভয় পেয়ে গেছি, জানের ভয়। তাই ঠিক করেছি যেখানে পারব চলে যাব - শহরে একটা ঝুপড়ি বানিয়ে থাকব। দরকারে ফুটপাথেই শোবো। প্রাণ তো সবারই প্রিয়, তাই না?" যুবক-যুবতীর যে পালিয়ে ঘটনার সূত্র ধরে তার বাবাকে মেরে ফেলা হল, গুলাম আহমেদ তার বিন্দুবিসর্গ জানতেন না বলেও দাবি করেছেন ইয়াসিন। তিনি বলছেন, "শুধু মুসলিম বলেই তার ওপর হামলা হয়েছিল। উনি একজন ভোলাভালা বৃদ্ধ মানুষ, উনি কী জানবেন বলুন তো?" এলাকার মুসলিম পরিবারগুলো বলছে, পালিয়ে যাওয়া ঐ যুবক-যুবতীকে খোঁজার চেষ্টা করেছিল তারাও, কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। কিন্তু এখন গুলাম আহমেদের মৃত্যু ও হিন্দু যুবা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহরে একজন প্রৌঢ় মুসলিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হিন্দু যুবা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জাপানের একটি কারখানায় একজন ইন্দোনেশিয়ান কর্মী জাপানে ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকটের কারণে আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন খাতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদেশী কর্মী নেয়া হবে - এমন খবরের প্রেক্ষাপটে এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছে - যদিও যেসব দেশ থেকে আপাতত কর্মী নেয়া হবে তার তালিকায় বাংলাদেশ নেই। জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বিবিসি বাংলাকে জানান, এ কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস অনেকটা বাধ্য হয়েই বিবৃতিটি দিয়েছে। তিনি জানান, জাপানি বিদেশী কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে একটি আইন পাশ হয়েছে এবং ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে। প্রাথমিক ভাবে এ জন্য আটটি পূর্ব এশীয় দেশকে নির্বাচন করা হয়েছে - যেগুলো থেকে ঐতিহ্যগতভাবেই লোকেরা জাপানে কাজ করতে আসতেন। এই দেশগুলো মধ্যে আছে ভিয়েতনাম, চীন, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের মতো কয়েকটি দেশ। তাদের নির্মাণ, রেস্তোরাঁ, কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতে নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান, বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত আছে। জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বিবিসি বাংলায় আরো খবর: নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তা যেভাবে নিশ্চিত করে ইসি 'মুসলিমরা সপ্তাহে একদিন নামাজ পড়লেই শান্তি নষ্ট?' ইসির বৈঠক থেকে ওয়াকআউট ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের হিন্দু ভোটারদের ঘিরেই নাসিরনগরে যত সমীকরণ জাপানে আগে কখনো বড় সংখ্যায় বিদেশী কর্মী নেবার কথা ভাবা হয়নি। কিন্তু এখন দেশটিতে বিভিন্ন খাতে অদূর ভবিষ্যতে কর্মীর অভাব ঘটবে এমন ধারণা করছেন দেশটির নীতিনির্ধারকরা এবং সে জন্যই আগামী পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বিদেশী কর্মীকে জাপানে কাজের সুযোগ দেয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। "এ নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি, জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবার জন্য। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এবং সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাসও দিয়েছেন" - বিবিসি বাংলাকে টোকিও থেকে টেলিফোনে জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বাংলাদেশের দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, "জাপানে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেন কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস অনুরোধ করছে।" বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি জাপানে বিদেশী কর্মী নেয়া হবে এ খবর বেরুনোর পর যেন একে কেন্দ্র করে কোন অসাধু তৎপরতা না চলতে পারে - সেজন্যই এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে, বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বাংলাদেশে এ ধরণের তৎপরতা কতটা চলছে সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে কথা হয় জনশক্তি রপ্তানি এজেন্সিগুলোর প্রতিষ্ঠান বায়রা'র আবুল বাশারের সাথে, যিনি দু মেয়াদে সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন। আবুল বাশার বলেন, তাদের সংগঠনে ১২শ' এজেন্সি আছে, তবে জাপানে কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে কেউ অর্থ নিচ্ছে এমন খবর তিনি জানেন না। তবে তাদের সংগঠনের বাইরে এমন দালাল চক্রের অস্তিত্ব আছে যারা অতীতে জাপানে শ্রমিক-কর্মী পাঠানোর কথা বলে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ নিয়েছে - এমন দৃষ্টান্ত আছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মি. বাশার বলেন, বাংলাদেশের কর্মী নেবার ব্যাপারে জাপান সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে কেউ যেন এরকম দালালের খপ্পরে না পড়েন, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। জাপানে বাংলাদেশীদের জন্য উচ্চশিক্ষা বা চাকরির কথা বলে এমন প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখা যায় ইন্টারনেটে জাপানে উচ্চশিক্ষা এবং ছাত্রাবস্থায় পার্টটাইম চাকরি করার সুযোগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশী তরুণদের আকৃষ্ট করতে প্রচুর বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে দেখা যায়। বাংলাদেশের ছাত্র বা অভিবাসী কর্মীদের জন্য জাপান যে একটা সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে এ কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দেশের ২৫টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাপানী ভাষা শেখার কোর্স চালু হয়েছে। রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, তবে জাপানে বিদেশীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শর্ত হলো জাপানী ভাষা শেখা, তা ছাড়াও জাপানের জীবনযাত্রার সাথে মানিয়ে নেবার জন্য অন্যান্য কিছু 'লাইফ স্কিল' এবং কর্মসংস্কৃতি সম্পর্কেও তাদের অবহিত হতে হবে। জাপানে এখন ১৫-১৬ হাজার বাংলাদেশী এখন অবস্থান করছেন - যারা মূলত অপেক্ষাকৃত উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী। রাষ্ট্রদূত রাবাদ ফাতিমা আরো জানান, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এসব খাতে বেশ কিছু বাংলাদেশী কাজ করছেন এবং এসব খাতে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে পাঁচবছর মেয়াদের নিয়োগ নিয়ে কাজের সুযোগ আগের মতই অব্যাহত থাকছে। তিনি জানান, জাপানে চাকরির ব্যাপারে যে কোন তথ্য জানার জন্য ইচ্ছুক বাংলাদেশীরা কোন বিভ্রান্তির শিকার না হয়ে বরং বাংলাদেশ দূতাবাস, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, বা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবার প্রলোভনে পড়ে কোন বাংলাদেশী যেন অসাধু আর্থিক লেনদেনে না জড়িয়ে পড়েন - সেজন্য সতর্ক করে দিয়েছে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
একজন বিদেশী আইএস যোদ্ধা ইরাকের সেই সুন্নি বিদ্রোহ থেকে পরে জন্ম নেয় ইসলামিক স্টেট বা আইএস, যারা ইরাক এবং সিরিয়ার কিছু অংশ নিয়ে খিলাফত বা একটি আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। তারপর থেকেই ঐ অঞ্চলে বিদেশী যোদ্ধাদের স্রোত শুরু হয়ে যায়। তার ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর, বিদেশী এসব জিহাদিদের প্রধান গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সিরিয়া। ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে যাওয়া বিদেশীদের ওপর বিবিসির এক রিপোর্টে বলা হয়, এর সংখ্যা ৪০,০০০ বা তারও বেশি হতে পারে। জাতিসংঘ বলেছে, পৃথিবীর ১১০টি দেশ থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি বিদেশী যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় গেছে। বাংলাদেশ থেকে কতজন বাংলাদেশ থেকে আইএসে যোগ দিতে গিয়েছিল ৪০ জন যাদের মধ্যে ২৫ জন দেশে ফিরে গেছে বলে এক আন্তর্জাতিক জরিপে বলা হয়েছে। এর সূত্র হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ২০১৮ সালের এক গবেষণাসহ দুটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করা হয়। সুইডেন নিবাসী ইসলামী জঙ্গিবাদের একজন গবেষক তাসনিম খলিল বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিভিন্ন সূত্র তিনিও জানতে পেরেছেন জনা চল্লিশেক বাংলাদেশী আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল। তবে, তারা সবাই যে সরাসরি বাংলাদেশ থেকেই গিয়েছিল তা নয়, অন্য কয়েকটি দেশে বসবাসরত কিছু বাংলাদেশীও তাদের মধ্যে ছিল। লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দি স্টাডি অব র‍্যাডিক্যালাইজেশন (আইসিএসআর) ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলেছে, শুধুমাত্র ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে এমন বিদেশীর সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৩২ হাজার ৮০৯ জন, মহিলার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন, এবং শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৬৪০। তারা এসেছে বিশ্বের মোট ৮০টি দেশ থেকে। খিলাফত প্রতিষ্ঠার লড়াইতে যোগ দিতে সারা পৃথিবীর মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল আইএস এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আইএসে যোগ দেয় ১৮ হাজার ৮৫২ জন; পশ্চিম ইউরোপ থেকে ৫,৯০৪ জন; পূর্ব এশিয়া থেকে ১০১০ জন; দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ১০৬৩ জন; আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে ৭৫৩ জন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে ৪৪৭ জন এবং সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো থেকে ২৪৪ জন। ব্রিটেন থেকে গিয়েছিল কম-বেশি ৮৫০ জন, যাদের মধ্যে ১৪৫ জন নারী এবং ৫০টি শিশু। কত জন মারা গেছে আমেরিকানরা বলছে, আইএস যোদ্ধাদের সিংহভাগই হয় লড়াইতে মারা গেছে, না হয় আটক হয়েছে। নিহত জিহাদিদের কতজন বিদেশী - সে হিসাব অস্পষ্ট। ২০১৭ সালের শেষ দিকে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভের প্রধান হিসাব দিয়েছিলেন, ব্রিটেন থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় লড়াই করতে যাওয়া নারী-পুরুষের মধ্যে ১৩০ জনের মত মারা গেছে। বন্দীদের দশা কী? যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি এবং আরব মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফ ১৮ই ফেব্রুয়ারি জানায়, তাদের বিভিন্ন কারাগারে ৫০টির মত দেশের প্রায় ৮০০ আইএস এস যোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া, এসডিএফের একজন মুখপাত্র করিম ওমর হিসাব দেন, ৭০০ বিদেশী নারী এবং ১৫০০ শিশুও বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করছে। মি. ওমর বলেন, তারা চান এইসব বিদেশী যোদ্ধাদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে। তিনি বলেন, এই সব যোদ্ধাদের ধরে রাখা বিপজ্জনক, কারণ তুরস্ক যদি কুর্দি যোদ্ধাদের শায়েস্তা করতে সিরিয়ার ভেতর হামলা চালায়, তাহলে বন্দী এইসব বিদেশী আইএস যোদ্ধারা বের হয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘের হিসাবে, ইরাকেও আরো ১০০০ বিদেশী জিহাদি আটক রয়েছে। ইরাকের তাল আফার শহরের কাছে ২০১৭ সালে ১৩শরও বেশি বিদেশী আইএস যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ইরাকে বিদেশী যে সব জিহাদিদের বিরুদ্ধে বিচার হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭২ জন ছিল নারী। তাদের অধিকাংশকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের হয় কারাদণ্ড, না হয় মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এমনকী নয় বছরের শিশুরও বিচার করা হয়েছে। আটক এইসব বিদেশীরা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। তাদের মধ্যে তুরস্ক, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির নাগরিকও রয়েছে। আইএসের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য ইরাকে ফরাসী এক নারীর বিচার হয় এখনও কত বিদেশী যুদ্ধ করছে পাঁচ বছরের যুদ্ধে আইএস ইরাক এবং সিরিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রায় সব এলাকা থেকেই বিতাড়িত হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসাব দেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় তখনও ১৪ থেকে ১৮ হাজার আইএস যোদ্ধা ছিল, যাদের তিন হাজারই বিদেশী। কেউ কি দেশে ফিরে গেছে? লন্ডনের গবেষণা সংস্থা আইসিএসআর বলছে, আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়া কমপক্ষে ৭৩৬৬ বিদেশী তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছে। তাদের ২৫৬ জন নারী এবং ১১৮০ টি শিশু। ব্রিটেনে ফিরে এসেছে ৪২৫ জন যাদের দুজন নারী এবং চারটি শিশু। শিশুদের কপালে কী ঘটেছে? ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন বন্দী শিবিরে বিদেশী আইএস যোদ্ধাদের ঔরসজাত দুই হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। এদের সিংহভাগই মায়ের সাথে থাকলে অনেকেই এতিম। অধিকাংশেরই বাবা হয় মারা গেছে, না হয় নিখোঁজ বা বন্দী। এইসব শিশুদের বাবা-মারা যেসব দেশে থেকে গেছে, সেসব দেশের সরকারগুলোর অধিকাংশই এসব শিশুকে নিতে চাইছে না। জাতিসংঘ সাবধান করেছে, ইরাক ও সিরিয়ায় বিদেশী যোদ্ধাদের শত শত এসব শিশু রাষ্ট্রবিহীন হয়ে পড়তে পারে।
বিশ্বের নানা দেশ থেকে জিহাদিদের ইরাকে যাওয়ার সূচনা ২০০৩ সালে যখন সাদ্দাম হোসেনের পতন হয়। সুন্নি বিদ্রোহীদের পক্ষে লড়াই করতে বিশ্বের নানা দেশ থেকে মুসলিম তরুণ-যুবকরা ইরাকে হাজির হতে শুরু করে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ইউজিন চিও সম্প্রতি তিনি বাড়ি ও জমি বেচাকেনার একজন এজেন্ট হবার এক পরীক্ষায় পাস করেছেন - যাকে বলে আরইএস। কিন্তু তিনি আলোচিত হয়েছেন অন্য কারণে। সেই কোর্সে পড়াশোনার যেসব নোট তৈরি করেছিলেন চিও - সেগুলো তিনি বিক্রির জন্য অনলাইনে তুলেছেন এবং এতে তার বেশ ভালো আয় হচ্ছে, একটা নতুন ব্যবসাই দাঁড়িয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেটে নোট বিক্রি যে চিও-ই প্রথম করছেন তা নয়। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক তার নোটস দারুণ বিক্রি হচ্ছে। তিনি এ পর্যন্ত দেড় হাজার নোট বিক্রি করেছেন। এক পর্যায়ে তার আয় ছিল সপ্তাহে ১০০০ ডলারের বেশি। চিও'র মাইন্ড ম্যাপ এর পর তিনি পড়াশোনার নোট বিক্রিকেই তার ব্যবসায়ে পরিণত করলেন। সিঙ্গাপুরে একজন রিয়েলটর বা বাড়ি-জমি বেনাকেনার এজেন্ট হতে গেলে বেশ কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করতে হয়। তাকে ৬০ ঘন্টার একটি কোর্স করতে হয়, পাস করতে হয় আরইএস - যা দুই পর্বের একটি পরীক্ষা। "ব্যাপারটা সহজ নয়" - বিবিসিকে বলছিলেন চিও, "সিঙ্গাপুরে নিয়মকানুন খুবই কঠিন । আমি তখনই উপলব্ধি করলাম দ্রুত কোন কিছু শিখে নেবার পদ্ধতির একটা বড় চাহিদা আছে।" চিও তার নোটগুলোকে বলেন 'মাইণ্ড ম্যাপ' - বা মনের মানচিত্র। চিও এগুলোকে তার নিজের পরীক্ষার সময় সফলভাবে ব্যবহার করেছেন। এরকম ১৬টি মাইন্ড ম্যাপ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা একটা ফি-র বিনিময়ে ডাউনলোড করতে পারেন। কী আছে চিওর এই মাইন্ড ম্যাপে? মাইন্ড ম্যাপে চিও ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করে নানা রকম আইডিয়া, কনসেপ্ট এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন। যা মানুষের মস্তিষ্ক সহজে বুঝতে পারে। চিও বলেন, তিনি পরীক্ষায় পাস করলেও নিজে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হতে চান না এগুলোতে আছে নানা রকম, আইনি ধারণা, বিপণন সংক্রান্ত ধারণা বা তত্ত্ব, গাণিতিক ফর্মুলা, নানা রকম গ্রাফ এবং সিলেবাসে আছে এমন আরো নানা রকম বিষয়। একজন ব্যবহারকারী ৮০ সিঙ্গাপুরী ডলার ব্যয় করে এগুলো ডাউনলোড করতে পারেন। কোন একটি বিশেষ বিষয়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি সে বিষয়ের তথ্যগুলো মাইন্ড ম্যাপে পেতে পারেন। তাতে আপনার যে সুবিধা হবে যে একটা প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আপনাকে পাঠ্যপুস্তক খুঁজে একটা পুরো অধ্যায় পড়তে হবে না। এটাকে একটা ভিন্ন ধরণের শিক্ষণ পদ্ধতিও বলতে পারেন। চিও বলেন, কাজের সূত্রে নানা সংস্কৃতির মানুষের সাথে তার যোগাযোগ হচ্ছে চিওর আরেকটি আগ্রহের বিষয় হচ্ছে স্কুবা ডাইভিং। তার কথা, সাগরের পানির নিচে একদল ডাইভার পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করেন আকারে ইঙ্গিতে। সেই যোগাযোগ পদ্ধতি তাকে শিখিয়েছে যে অনলাইন শিক্ষণের ক্ষেত্রে কি করে বিভিন্ন ভাষার বাধা অতিক্রম করতে হয়। চিওর কোম্পানির নাম হচ্ছে আরইএস টিউটর। যারা সিঙ্গাপুরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার এজেন্ট হতে চান তাদেরকে আরইএস পরীক্ষা পাস করতে সহায়তা করার জন্যই এটা তৈরি হয়েছে। চিও বলছেন, তিনি এখন তার ব্যবসাকে আইটি'র অন্য ক্ষেত্রেও প্রসারিত করতে চান। তিনি নিজে একজন রিয়েলটর হতে চান না, বরং যারা হতে চায় তাদের সাহায্য করার আনন্দ পেতেই তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইউজিন চিওর বয়স ২৪। তিনি সিঙ্গাপুরের ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ডাকসুর নব নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক। সাধারণ একজন শিক্ষার্থী থেকে ডাকসুর ভিপি হওয়ার -এই ঘটনাকে 'চমক' হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সোমবার মধ্যরাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় ভিপি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হককে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে, ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে মেনে নিতে অস্বীকার এবং বিক্ষোভ করে। পরে অবশ্য ভিপি হিসেবে নুরুল হককে স্বাগত জানায় তারা। কিন্তু অনেকের কাছেই এখনো অজানা- কে এই নুরুল হক? কোটা আন্দোলন থেকে ডাকসু - পথ কতটা মসৃণ ছিল? ছাত্রলীগ, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে সাধারণ ছাত্রের ব্যানারে কতটা সাফল্য পাবেন সে নিয়ে অনেকের শঙ্কার মাঝেই নির্বাচনে প্রার্থী হন কোটা আন্দোলনের এই নেতা। পরে তিনিই প্রায় দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে পরাজিত করেন। তার মোট প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৬২টি। নুরুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্বে অধ্যয়নরত। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি। বিতর্ক, অভিনয়সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকবার হামলার মুখে পড়েন তিনি। আরো পড়ুন: 'সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ একটি পদও পাবে না' - নূর ডাকসু নির্বাচন: যে সমীকরণে দাঁড়ালো এমন ফলাফল ডাকসুতে ছাত্রলীগের শোভন পরাজিত, নুরুল ভিপি 'মাতৃহারা নুরুল হতে চেয়েছিল চিকিৎসক' নুরুল হকের জন্ম পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে পরিবারের তৃতীয় সন্তান নূর। তিনি তার মাকে হারান ১৯৯৩ সালে। সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম নেয়া নূরের বাবা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার। তিনি জানান, "নূর মাতৃহারা হয়েছেন ১৯৯৩ সালে যখন তার বয়স আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয়বছর।" "আমাদের যোগাযোগ সমস্যার কারণে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে না পারার কারণে হয়তো সে ডাক্তার হতে চেয়েছিল।" চর এলাকাতেই সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি। এরপর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাচাতো বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন এবং কালিয়াকৈর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এইচএসসি পাশ করেন উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। মেডিকেল কলেজে সুযোগ না পেয়ে প্রথমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। ডাকসু নির্বাচন: নব-নির্বাচিত ভিপি নূরকে ধাওয়া দিল ছাত্রলীগ রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক নুরুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে গণমাধ্যমে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার পর থেকেই একদিকে শারীরিক নানারকম হামলার শিকার যেমন হয়েছেন, তেমনি সাইবার জগতেও শিকার হয়েছেন আক্রমণের। তিনি 'শিবির-কর্মী' বলে অনলাইনে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। এমনকি নির্বাচনের ফল ঘোষণার রাতে নূর-এর বিজয়ের খবরে 'শিবিরের ভিপি মানি না' এমন স্লোগানও দিয়েছিল ছাত্রলীগ। তবে নুরুল হক কখনো শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল কি-না জানতে চাইলে তার পরিবার তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে নুরুল হক এর আগে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় হল কমিটিতে সক্রিয় ছিলেন। হাজী মুহম্মদ মহসিন হল ইউনিটের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। ডাকসুর নতুন ভিপি নুরুল হক। হঠাৎ করে এ জায়গায় আসেনি - নূরের বাবা নূর যেভাবে আজ পুরো দেশের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন সে প্রসঙ্গে তার বাবা মিস্টার হাওলাদার বলেন, "রাজনীতি দুশ্চিন্তার বিষয়। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে, নানা ধরনের ঝামেলা থাকে, জেল জুলুম হয়, অন্যায় নির্যাতনের শিকার হতে হয়, এগুলো যন্ত্রণার ব্যাপার আছে।" "কিন্তু আমার ছেলে সব সাধারণ ছাত্রছাত্রীর জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে এর শিকারও হয়েছে তবু আমি চাই সে এটা চালিয়ে যাক।" নূর-এর বাবা চান তার ছেলে যে ধারায় রাজনীতির মধ্যে এস পড়েছে সে ধারা ধরে রাখুক সততার সাথে। "আমার ছেলে নষ্ট হয়ে যাক এটা আমি কখনোই চাইনা। আমি চাই আমার ছেলের দ্বারা দেশের মঙ্গল হোক।" সাধারণ পরিবার থেকে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হলেও একেকটি আন্দোলন তাকে গড়ে তুলেছে বলে তার বাবা মনে করছেন। মি: হাওলাদার বলছেন, "অনেকেই বলছে সে সাধারণ পরিবারের-এটা ঠিক, তবে সে যে আন্দোলন করেছে সেটা সকল মানুষের আন্দোলন ছিল, সারা বাংলার মানুষের সমর্থন পেয়েছে সে।" "সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে জনজীবনের নিরাপত্তার জন্য তারা আন্দোলন করেছে। সে প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, এইভাবে সে নিজেকে তৈরি করেছে।" "সুতরাং সে হঠাৎ করে এ জায়গায় আসেনি," বলছেন নুরুল হকের বাবা। তিনি জানান, "একবার ডিবি পুলিশ তাকে ধরেছিল এবং পরে ছেড়ে দিয়েছিল। তবে আমাদের কোন ভয়ভীতি নেই।" "আমার ছেলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেভাবে জড়িত না। কোনও রাজনীতির ব্যানারে নির্বাচন করেনি।" তিনি বলেন, "সে [নুরুল] এখন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, তাকে জ্ঞান দেয়ার কিছু নাই, সে যা ভালো মনে করবে তাই করবে।" একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বাবুল মুন্সী বিবিসি বাংলাকে জানান, "নূরকে এখানকার মানুষ খুব একটা চিনতো না। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এলাকার মানুষ তার কথা জানতে পারে।" "এখন তার এই অর্জনে চরাঞ্চলের মানুষকে আনন্দিত করেছে," -এমনটাই জানালেন তিনি। আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: নূরকে ভিপি হিসেবে মেনে নিল ছাত্রলীগ কোটা আন্দোলনের তিন নেতাকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ বুফনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় সাকিব-মুশফিক, তালিকায় সেরা কারা?
বাংলাদেশে দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর নুরুল হক নুর এখন রাজনৈতিক অঙ্গন এবং শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার শিরোনাম।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চিত্র এর এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের বাসবভনে ঢুকে ভাংচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক আসিফুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তারা ভিসির বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে এবং প্রতিটি স্থানে ভাংচুর চালায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমের সামনে আসেন এবং বলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন এই কাজ যারা করেছে তারা শিক্ষার্থী হতে পারে না। এদিকে ভিসির বাসার ভাংচুরের নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে। 'চাকরিতে কোটা, মেধাবীদের সাথে রাষ্ট্রের বঞ্চনা' কোটা সংস্কার: মধ্যরাতেও বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি রাতভর সংঘর্ষ চলে সেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়ীর প্রবেশ মুখের কিছু দুরেই টেবিল চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। খাবারের টেবিল ভাংচুর, বেডরুম রীতিমত তছনছ করা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে সবশেষ খবর অনুযায়ী সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত, জানা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ এবং র‍্যাব অবস্থান করছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আন্দোলনকারী একবার মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সোমবার সকাল ১১টায় আলোচনার প্রস্তাব করেন। তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, "দীর্ঘসময় ধরে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন,আজ সোমবার সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তাদের আহবান জানাচ্ছি"। আরো পড়তে পারেন: চাকরিতে কোটা নিয়ে এত ক্ষোভের কারণ কী? চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা? চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত ‘সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ রূপকথার রাজপুত্র নন’
বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকার শাহবাগের বিক্ষোভ মধ্যরাতে পুলিশ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতায় গড়ায়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ক্যারোলাইনা রিপার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এক 'মরিচ খাওয়ার প্রতিযোগিতার' সময় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে ৩৪ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি প্রতিযোগিতায় একটি ক্যারোলাইনা রিপার মরিচ খেয়েছিলেন। ক্যারোলাইনা রিপা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ। ঝাল মাপার বৈজ্ঞানিক ইউনিট হচ্ছে এসএইচইউ বা স্কোভিল হিট ইউনিট। সাধারণ হালাপেনো মরিচের ঝাল হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ৮০০০ এসএইচইউ, আর ক্যারোলাইনা রিপারের ঝাল হলো ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩শ' এসএইচইউ। দশ বছর গবেষণা করে এড কারি নামে এক ব্যক্তি এটি উদ্ভাবন করেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইতে ২০১৩ সালে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল মরিচ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মরিচ খাবার কিছুক্ষণ পরই লোকটির যে প্রচন্ড মাথাব্যথা হয় তাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় 'থান্ডারক্ল্যাপ', এতে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তবাহী ধমনীগুলোর আকস্মিক সংকোচন হতে থাকে যাতে 'মাথার ভেতরে বজ্রপাত হবার মত' একটা অনুভুতি হয়। মাথার ব্যথা শুরু হবার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা তীব্রতম স্তরে উঠে আবার নেমে যায়, এবং এটা বার বার হতে থাকে। এর সাথে লোকটির হিক্কা এবং ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছিল। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। ডাক্তারদের মতে মরিচের কারণে এই ধরণের থান্ডারক্ল্যাপ মাথাব্যথা হবার এটাই প্রথম ঘটনা। তারা বলছেন, মরিচ খেয়ে কারো এধরণের লক্ষণ দেখা দিলে তার উচিত হবে সাথে সাথে হাসপাতালে যাওয়া। কয়েকদিন পর লোকটির মাথাব্যথা আপনা আপনি সেরে যায়। পাঁচ সপ্তাহ পরে সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, তার মস্তিষ্কের ধমনীও আগেকার অবস্থায় ফিরে গেছে। হেনরি ফোর্ড হাসপাতালের ডাক্তার কুলতুঙ্গন গুনাসেকরন বলেন, যারা ক্যারোলাইনা রিপার মরিচ খান - তাদের আমরা তা খেতে নিষেধ করছি না, কিন্তু এই ঝুঁকিগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মার্কিন সিনেটরদের তোপের মুখে জাকারবার্গ কোটা সংস্কার আন্দোলন: পিছিয়ে নেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমারের মন্ত্রী, রোহিঙ্গাদের ক্ষোভ
পৃথিবীর সবচেয়ে ঝাল 'ক্যারোলাইনা রিপার' মরিচ খেয়ে কয়েকদিনব্যাপী প্রচন্ড মাথাব্যথায় আক্রান্ত হবার পর এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জনগণের সাহায্য চান আসমা আজিজ সে নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানে নারীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আবারো আলোচনায় এসেছে। লাহোরের আসমা আজিজ সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তার ন্যাড়া মাথা এবং চোট পাওয়া মুখমণ্ডলের চিত্র উঠে এসেছে। আসমা আজিজের স্বামী মিয়া ফয়সাল এবং তার একজন ভৃত্যকে পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মি. ফয়সাল স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক টুইট বার্তায় লিখেছে যে এই ধরণের ঘটনা রোধে 'কাঠামোগত পরিবর্তন' জরুরি। আরো পড়তে পারেন: যে নারী স্বামীর গায়ে আগুন দিয়েছিলেন আইনজীবী হয়ে পরিবারের সম্পদ ফিরিয়ে আনলেন সন্তান ফোরজি সেবার নামে যা দেওয়া হচ্ছে তা 'স্রেফ প্রতারণা' যেভাবে জানা যায় ঘটনাটি ২৬শে মার্চ পোস্ট করা ভিডিওতে মিজ আজিজ অভিযোগ করেন যে দুইদিন আগে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। স্বামীর আদেশ অনুযায়ী স্বামীর বন্ধুদের সামনে নাচতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ বন্ধুদের সামনেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। লাহোরের অভিজাত ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি অঞ্চলের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। মিজ আজিজ বলেন, "সে (স্বামী) তার কাজের লোকদের সামনেই আমার কাপড় খুলে নেয়। আমার মাথা ন্যাড়া করার সময় কাজের লোকরা আমাকে ধরে রেখেছিল। চুল কাটার পর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।" "আমার কাপড় রক্তাক্ত হয়ে ছিল। আমাকে একটি পাইপের সাথে বেঁধে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সে আমাকে নগ্ন করে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দিয়েছিল।" মিজ. আজিজ জানান তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, মিজ আজিজ থানায় জানানোর পরপরই তার বাসার দিকে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়, কিন্তু তার বাসা তালাবন্ধ ছিল এবং ডিফেন্স হাউজিং অথরিটির কর্তৃপক্ষ তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। মিজ আজিজের পোস্ট করা ভিডিওটি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেহরেয়ার আফ্রিদির চোখে পড়ার পর তিনি পুলিশকে অভিযোগ দাখিল করার নির্দেশ দেন এবং তারপর পুলিশ এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। পরদিন অভিযুক্ত মি. ফয়সাল এবং তার এক ভৃত্য রাশিদ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে করা একটি মেডিকেল রিপোর্টে মিজ আজিজের হাত, গাল এবং বাম চোখের কাছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং ফোলা ভাব পাওয়ার উল্লেখ ছিল। এই ঘটনায় মামলা করার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারায় মামলা দায়ের না করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কঠোর আইনের অধীনে মামলা করার পরামর্শ দেন মিজ আজিজের আইনজীবী। বুধবার লাহোর পুলিশের কাছে দাখিল করা কাগজপত্রে আইনজীবীরা দাবি করেন যে এই ঘটনায় সমাজে 'অস্থিরতা এবং উদ্বেগ' ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে পুলিশকে মি. ফয়সাল বলেন মাদকের প্রভাবে তার স্ত্রী নিজের চুল কাটতে শুরু করেন এবং তিনি নিজেও মাদক সেবন করে তার স্ত্রীর কাজ শেষ করতে সহায়তা করেছেন কেবল। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক রোষ তৈরি হয়। পাকিস্তানে পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি নিয়েও অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। সামাজিকভাবে রক্ষণশীল পাকিস্তানে নারী অধিকারের বিষয়টি বহুবছর ধরেই বিভিন্ন রকম কোন্দল এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের ২০১৬ সালের লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ১৮৮টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১৪৭ তম। নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের রেকর্ড অসন্তোষজনক। নারী ও মেয়ে শিশুদের সাথে সহিংসতার ঘটনা ঘটে অহরহ। এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলেন পরিসংখ্যান দিয়ে এই সমস্যা কতটা প্রকট তা বোঝা সম্ভব নয়; কারণ এমন অনেক ঘটনার ক্ষেত্রেই কখনো অভিযোগ করা হয় না। পাকিস্তানে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া নারী দিবসের পদযাত্রার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিল কিছু রক্ষণশীল দল। পরে সামাজিক মাধ্যমে আয়োজকদের অনেককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বায়ু দূষণ কমলে যে ৫টি উপকার পাবেন আপনি যেসব খাবারে প্রতি পাঁচ জনে একজনের অকাল মৃত্যু হচ্ছে ভোট নিয়ে ভারতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন?
স্বামী এবং তার বন্ধুদের সামনে নাচতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাকিস্তানের এক নারীকে শারীরিক নির্যাতন এবং মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র যা আমদানি করে - রপ্তানি করে তার চেয়ে অনেক কম কিন্তু সাধারণ মানুষ কিভাবে এই যুদ্ধের ব্যাপারটা টের পাবে? তাদের পকেটে এর জন্য কি কোন টান পড়বে? চীনা পণ্যের ওপর যে ৩ হাজার ৪শ' কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র - তা গত রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। আর চীনও তার জবাবে ৫৪৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর একই রকম ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে - যার পরিমাণ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪শ কোটি ডলারই হবে। চীন বলছে, বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধের শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে জিনস, মোবাইল ফোন, ছাতা, এমনকি যৌন খেলনার দামও শিগগীরই বেড়ে যাবে। কারণ এসব পণ্য তৈরি হয় চীনে। শুধু পশ্চিমা দেশ নয়, সারা দুনিয়ার নানা দেশের ওপরই এর প্রভাব পড়বে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মেড ইন চায়না ২০২৫': কেন এত দুশ্চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কারণ সব দেশই আমদানি করা পণ্য ব্যবহার করে। যেমন আপনার হাতের আইফোনটি। এটি ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে । কিন্তু এটা তৈরি হয়েছে চীনে। শুধু তাই নয়, এর যে নানান যন্ত্রাংশ - সেগুলো আবার তৈরি হয়েছে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অন্য কোন তৃতীয় দেশে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র এর ওপর কর বসালে এর উৎপাদনের সাথে জড়িত সব দেশের কর্মসংস্থানের ওপরই তার প্রভাব পড়ে। তার পর আছে ওভারহেড খরচ। তাই তার প্রভাবে সারা দুনিয়ার ভোক্তাদের জন্য জন্যই আইফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন আমেরিকার শিল্প এবং এবং কর্মংসংস্থানকে চাঙ্গা করতে, চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনে যত পণ্য বিক্রি করে তার চাইতে বেশি আমদানি করে। আর চীন চায় প্রযুক্তিতে বিশ্বে নতুন নেতা হয়ে উঠতে। তারা মেড ইন চায়না নামে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটা পরিকল্পনাও নিয়েছে। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের মতো দেশ কিন্তু এই বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে কি কেউ লাভবান হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে আরো সস্তায় পণ্য রপ্তানি করতে পারে - তারা হয়তো লাভবান হবে। এরকম দেশগুলোর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ, তার তুলা শিল্প। আরো আছে মেক্সিকোর খেলনা উৎপাদনকারীরা। এছাড়া ভিয়েতনাম - যারা পোশাক সেলাই করে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়ে যায় - তাই শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষরাই , যারা পণ্য কেনে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গুহায় অক্সিজেন দিতে গিয়ে মারা গেলেন যে ডুবুরি পাঁচটি কলাগাছকে কেন বাঁচাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা? 'রাস্তায় বের হতে পারবি না, পরিবারকে গুম করে দিবে'
মার্কিন পণ্যের উপর চীন পাল্টা শুল্ক আরোপ করার মধ্যে দিয়ে এই দুই পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হলো।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আইনের খসড়ায় ৫৭ ধারার আদলে বিতর্কিত ইস্যুগুলো সংযুক্ত হওয়ায় নতুন করে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আইনের খসড়ায় ৫৭ ধারার আদলে বিতর্কিত ইস্যুগুলো সংযুক্ত হওয়ায় নতুন করে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইন্টারনেটে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপরাধের দমন, প্রতিরোধ ও বিচারের জন্য ২০০৬ সালের আইসিটি আইন ২০১৩ সালে সংশোধন করে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়। আর সার্বিকভাবে ডিজিটাল অপরাধগুলোর প্রতিকার, প্রতিরোধ, দমন ও বিচারের জন্য সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্বিতীয় খসড়ায় দেখা যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আলোচিত 'মানহানি', 'মিথ্যা-অশ্লীল', 'আইন শৃঙ্খলার অবনতি' ও 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত' এই বিষয়গুলো আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় যেখানে 'নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ' এবং 'রাষ্ট্র ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন' এই শব্দগুলি ছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সেটি 'মনকে বিকৃত ও দূষিত করা' এবং 'মর্যাদাহানি ও হেয় প্রতিপন্ন'- এভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর্টিকেল ১৯-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক তাহমিনা রহমান বেসরকারি সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, "৫৭ ধারার সমস্যা দুটি সমস্যা। প্রথমত সাবসট্যান্স নিয়ে (বিষয়বস্তু) এবং অপরেশনালি যা হচ্ছে সেটার সমস্যা। বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে ৫৭ ধারায় যে আটটি গ্রাউন্ডের কথা বলা হয়েছে যে এসব বিষয়ে যদি কোনো বক্তব্য হয় তাহলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।'' ''কিন্তু এই সিমিলার যেসব গ্রাউন্ডগুলি দেয়া হয়েছে সেগুলি আমাদের অন্যান্য আইনে এর থেকে বেশি প্রটেকশন (সুরক্ষা) দিয়ে আছে এবং বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে দেয়া আছে। ৫৭ ধারায় যখন এসেছে তখন কিন্তু এগুলো সুস্পষ্ট করে সংজ্ঞায়ন হয়নি। আর অপারেশনালি আগের আইনে এসব অপরাধগুলি ননকগনিজেবল ছিল অর্থাৎ পুলিশের আমলে নেয়ার ক্ষমতা ছিলনা, কিন্তু ৫৭ ধারায় উল্লিখিত অপরাধ পুলিশ আমলে নিতে পারে," বলছেন তাহমিনা রহমান। খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯ ও ২০ ধারা পর্যালোচনা করে তাহমিনা রহমান বলেন, "বাক স্বাধীনতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অধিকার । সেই অধিকারকে ক্রিমিনালাইজড(শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করা উচিৎ নয়। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়ায় দেখতে পাচ্ছি এখনো ৫৭ ধারার মতো ক্রিমিনালাইজড করা হচ্ছে। আবার ডেফিনেশনগুলো এখনো সুস্পষ্ট করে এখানে দেয়া হয়নি, আর পেনাল কোডে যেসব সুরক্ষা রয়েছে সেগুলো আমরা যে খসড়াগুলো দেখেছি সেখানে এখানো আসেনি।" খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৯ ও ২০ ধারার সংযুক্তি তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক তার মতে, "সমস্যাগুলো থেকেই যাচ্ছে। অবসিনিটি (অশ্লীল) বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা এগুলো হলো কনসেপ্ট। এগুলোর ব্যাখ্যা ব্যক্তি বা অবস্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে। আপনার কাছে যেটা অবসিনিটি মনে হতে পারে আমার কাছে সেটা অবসিনিটি নাও মনে হতে পারে।" এ ব্যাপারে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সংশ্লিষ্ট অপরাধগুলো যেহেতু ঘটছে তাই আইনে থাকতে হবে। "আমরা কি চাই রামুর মতো ঘটনা- নিরপরাধ নিরীহ মানুষজনের ওপরে ধর্মীয় সহিংসতা হোক? আমরা কি চাই নাসিরনগরের মতো সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হোক? এরকম অনেক মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ, মানহানিকর তথ্য, ছবি অনেক প্রাণহানির কারণ পর্যন্ত হচ্ছে- ফেইসবুক থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতে।" মি. পলক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হলে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বিলোপ হবে- তবে ৫৭ ধারাটাকে গ্রহণযোগ্যভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সংযুক্ত করাই সরকারের লক্ষ্য। তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক "সাইবার জগতটাকে নিরাপদ রাখার জন্য আমার একদিকে যেরকম সকল অপরাধীকেও আইনের আওতায় আনতে চাই অপরদিকে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় সেটাকে নিশ্চিত করার জন্যই সকল প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি।" তবে তবে বিদ্যমান আইনের ৫৭ ধারা অপব্যবহার হচ্ছে অভিযোগ করে এটি বাতিলে সোচ্চার সাংবাদিকরা। সাংবাদিক নেতারা বলছেন, ৫৭ ধারার অপব্যবহারের সুযোগ নিয়ে এরকম মামলার কারণে সাংবাদিকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এ বছর জুলাই পর্যন্ত ৩৫টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ২২টি মামলাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, "এখন যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সরকার করতে যাচ্ছে এর ১৯ ধারাও ৫৭ ধারার মতো একটি কালো ধারা। সাংবাদিকদের অধিকার হরণের জন্য বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার জন্য যে নামেই যে ধারা প্রবর্তন করা হোক সেটা আমাদের দৃষ্টিতে কালো আইন। আমরা এ কালো আইনের বিরোধী।" ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এদিকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অপরাধে যে শাস্তি ছিল নতুন আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় সেটি অনেকটা কমানো হয়েছে। ৫৭ ধারায় সাজা ছিল ৭-১৪ বছর ১৯ ধারায় সেটি ২ মাস থেকে দুই বছর ও ২০ ধারায় ১ থেকে ৭ বছর। জরিমানার ক্ষেত্রেও ৫৭ ধারায় সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নির্ধারন করা হচ্ছে। আর ৫৭ ধারায় মামলা জামিন অযোগ্য থাকলেও ১৯ ও ২০ ধারায় মামলা জামিনযোগ্য করা হচ্ছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার মতো নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ও ২০ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন যাচাই বাছাই শেষে সবগুলি বিষয় সুস্পষ্ট করেই নতুন আইনটি পাশ হবে এবং তখন আর কারো কোনো সংশয় ও উদ্বেগ থাকবে না । ধারা ১৯
বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের পক্ষে শক্তিশালী জনমত গড়ে উঠলেও আলোচিত বিষয়গুলো নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে বিবাহিত নারী বা পুরুষের অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক হলে তাকে আইনে 'ব্যভিচার' বলা হয়েছে বাংলাদেশে পরকীয়া সংক্রান্ত আইনে ঠিক কি বলা হয়েছে? আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একজন আইনজীবী নীনা গোস্বামীর কাছে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আইন খুব বেশি নেই। তবে ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে যে কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি অন্য কোন বিবাহিত নারীর সাথে জেনেশুনে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তা ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সেই পুরুষটির পাঁচ বছরের কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান আছে। তবে যে নারীর সাথে ব্যভিচার করা হয়েছে - তার ক্ষেত্রে আইনে কোন শাস্তির বিধান নেই, ব্যভিচারকারী নারী ও পুরুষ উভয়ের শাস্তির কথাও বলা নেই। নীনা গোস্বামী বলেন, তবে এর অপপ্রয়োগ হয়ে থাকে, অনেক সময় অজ্ঞতার কারণেও ব্যভিচারের ঘটনায় নারীকেও আসামী করা হয়েছে এমন দেখা গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পরকীয়া আর ফৌজদারি অপরাধ নয়: ভারতের আদালত পরকীয়ার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের আইন প্রায় একই রকম, বলছেন নীনা গোস্বামী ভারতের আইন অনুযায়ী কোন স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা করতে পারতেন, কিন্তু কোন স্ত্রীর তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অভিযোগ এনে মামলা করার অধিকার ছিল না। বাংলাদেশের আইনে এ ক্ষেত্রে কি আছে? প্রশ্ন করা হলে নীনা গোস্বামী জানান, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন একই রকম। "এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার জন্য নারী সংগঠনগুলো অনবরত দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু পেনাল কোডে কোন সংস্কারের কাজে এখন পর্যন্ত কোন হাত দেয়া হয় নি। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে মাথায রেখে বাংলাদেশের নারী সংগঠনগুলো পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেবার কথা ভাববে এটাই আমি আশা করি" - বলেন নীনা গোস্বামী। নীনা গোস্বামী তিনি বলছেন, বাংলাদেশে এ আইনে যেসব মামলা হয় তা কিছুটা অপপ্রয়োগের মতো করেই হয়। দেখা যায় স্ত্রীকে 'শাস্তি' দেবার জন্য বা 'হয়রানি বা নিয়ন্ত্রণ করার' ভাবনা থেকে এরকম মামলা হয়। ভারতে মামলাটির রায়ে বিচারপতিরা বিবাহ-বিচ্ছেদের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, পরকীয়া বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু একে ফৌজদারি অপরাধ বলা চলে না। এ প্রসঙ্গে নীনা গোস্বামী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে যাওয়ার হার খুবই কম। সরাসরি ডিভোর্স দেবার ক্ষমতাই বেশি প্রয়োগ করা হয়। "মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী ডিভোর্সের অধিকার প্রয়োগ করা যায় যে কোন সময়। কাজি অফিসে গিয়ে ডিভোর্স ফাইল করা - এটাই বেশি দেখা যায়" - বলেন মিজ গোস্বামী। আরো পড়তে পারেন: বাবরি মসজিদের জমি হুকুম দখলের সুযোগ করে দিল আদালত গণহত্যার স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ? পরকীয়া আর ফৌজদারি অপরাধ নয়: ভারতের আদালত জোটে যোগদান নয়, 'যুগপৎ আন্দোলন' করতে চায় বিএনপি
ভারতে কোন বিবাহিত নারী বা পুরুষ যদি অন্য কারো সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করেন - তাহলে তা আর ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে না বলে রায় দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশে বন্যায় বিপর্যস্ত একটি পরিবার। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কাতার। নতুন একটি জরিপে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ১৫টি দেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে। এছাড়া, ১৫টি দেশের মধ্যে ৯টি বিভিন্ন দ্বীপদেশ। ২০১৮ বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদনে ১৭২ টি দেশের ভূমিকম্প, সুনামি, হারিকেন এবং বন্যার ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। জার্মানির রুহর বিশ্ববিদ্যালয় বোখাম এবং ডেভেলপমেন্ট হেল্প অ্যালায়েন্স নামে একটি জার্মান বেসরকারি মানবিক সংস্থা যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করে। আরো পড়ুন: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের থাইল্যান্ডে বন্যায় বিপর্যস্ত শিশুরা বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ দেশের তালিকা: এই জরিপে, গবেষকরা মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শিশুদের দুর্দশার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। তাদের তথ্য অনুসারে বিশ্বব্যাপী প্রতি চারটি শিশুর মধ্যে একটি দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় বসবাস করে। এছাড়াও, জাতিসংঘের পরিসংখ্যানেও দেখা যায় যে, গত বছর সংঘাত-সংঘর্ষ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বয়স ১৮ বছরের নীচে। ওয়ার্ল্ড রিস্ক রিপোর্ট ২০১৮ অনুয়ায়ী জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের স্তর বেড়ে যাওয়াসহ আরা নানা কারণে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশিরভাগ দ্বীপদেশের নাম। এরমধ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভানুয়াতু দ্বীপটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল, তারপরেই রয়েছে প্রতিবেশী দেশ টোঙ্গা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক দ্বীপদেশ ফিলিপিন্স। যার মোট লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'গুজব রোধে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হতে পারে' ব্যাঙ্গালোরে 'অবৈধ বাংলাদেশী' তকমা দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান রাঙ্গা জাপা মহাসচিব: কেন সরানো হলো হাওলাদারকে? জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? বাংলাদেশ আছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের তালিকায় তবে জার্মান গবেষকরা মনে করেন ওশেনিয়া সার্বিকভাবে সবচেয়ে ঝুঁকি-প্রবণ অঞ্চল। তাদের মতে আফ্রিকার দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হিসেবে শীর্ষ ৫০টি দেশের তালিকায় যেমন স্থান পেয়েছে। তেমনি সামাজিক বিপর্যয়ের তালিকাভুক্ত ১৫টি দেশের মধ্যে ১৩টি আফ্রিকা-ভুক্ত। আরও পড়তে পারেন: বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না? বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াল রূপ নিয়েছে বন্যা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ভারতের শত শত বন্যার্ত ঝুঁকি পরিমাপ করা হয় কিভাবে, ঠেকানোর উপায় কি? এমন পরিস্থিতিকে গবেষকরা এমন চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এজন্য তারা উদাহরণ হিসেবে টানেন ইউরোপকে। সম্প্রতি ইউরোপের দেশগুলোতে বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে তীব্র দাবদাহ আঘাত হানে। অনেক স্থানে খরা দেখা দেয়ায় সেখানকার কৃষিখাত সরাসরি ক্ষতির শিকার হয়েছিল। তবে ইউরোপের দেশগুলো সে সময় এই তাপদাহ মোকাবিলায় যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেগুলোকে ইতিবাচক উদাহরণ হিসাবে নেয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। গবেষকরা মূলত ভূমিকম্প, সুনামি ও বন্যায় শিকার হওয়ার ঝুঁকি পরিমাপ করেছেন। তবে ঝুঁকির এই সূচকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কার পাশাপাশি সেই দুর্যোগ মোকাবিলায় সেই দেশ কতোটুকু প্রস্তুত সেটাও বিবেচনায় নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে হিসাব করা সেই দেশগুলোয় নির্মিত ভবনগুলোর পরিস্থিতি বা বিল্ডিং কোড, দারিদ্রসীমার মাত্রা এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরিকল্পনা। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ-প্রবণ হওয়া সত্ত্বেও অনেক দেশের নাম ঝুঁকির তালিকায় নেই। যেমন প্রতিনিয়ত ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা জাপান এবং চিলি। এই দুই দেশের নাম শীর্ষ ২০ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের বাইরে রয়েছে। এছাড়া হল্যান্ড যারা কিনা শত শত বছর ধরে সমুদ্রের স্তর বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। অথচ ঝুঁকির তালিকায় তাদের অবস্থান ৬৫টিতে। কাতার সবচেয়ে কম ঝুঁকিপ্রবণ দেশ। এদিকে মিসরের মতো অন্যান্য দেশগুলোর প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কা কম। ঝুঁকির তালিকায় দেশটির অবস্থান ১৬৬টিতে হলেও দুর্যোগ মোকাবিলা ও বিপর্যয়ের সূচকে তারা জাপানের চাইতেও খারাপ অবস্থানে রয়েছে। কারণ দেশটি সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ২০১৮ সালকে একটি সচেতনতার বছর বলে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। মানুষের মধ্যে এবারই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকাটা কতো জরুরি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝুঁকির মধ্যে থাকা শীর্ষ ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামও।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
জামাল খাসোগজির মৃত্যুর পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে জেফ বেজাসের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, যুবরাজের ব্যবহার করা একটি ফোন নম্বর থেকে আসা একটি বার্তা এই হ্যাকিংয়ের সাথে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস এই প্রতিবেদনগুলোকে "অযৌক্তিক" উল্লেখ করে বলেছে এবং প্রতিবেদনগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার সাথে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার পাশাপাশি মিস্টার বেজোস ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস বলেও পরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাওয়ার পরপরই মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলে, তথ্য চুরির ঘটনায় পরিচালিত তদন্তে জানা যায় যে, প্রিন্সের কাছ থেকে একটি এনক্রিপ্ট করা ভিডিও ফাইল পাওয়ার পর থেকেই এই কোটিপতির ফোন গোপনে বিশাল পরিমাণ তথ্য বিনিময় শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস টুইটারে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমাজন বিবিসিকে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। আমেরিকার ট্যাবলয়েড দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার-এ মিস্টার বেজোসের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এসব প্রতিবেদন আসে। জেফ বেজোস এবং তার বান্ধবী ফক্স টেলিভিশনের সাবেক উপস্থাপিকা লরেন স্যানচেজের মধ্যে বিনিময় করা লিখিত বার্তা ফাঁস করার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিস্টার বেজোস দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের বিরুদ্ধে "অন্যায় দাবী এবং ব্ল্যাকমেইল" করার অভিযোগ তোলেন। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা কেন বড় বড় সংবাদপত্র কিনছে সম্পদের অর্ধেক দান করবেন অ্যামাজন প্রধানের সাবেক স্ত্রী ভারতে দোকানদাররা ও জেফ বেজোস যখন মুখোমুখি এর এক মাস আগে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাককেনজি বেজোস ঘোষণা দেন যে, "দীর্ঘ সময়" আলাদা থাকার পর তারা তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে তালাকের পরিকল্পনা করছেন। মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম নয়। গত বছরের মার্চে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন যে, সৌদি আরব হ্যাকের সাথে জড়িত এবং তাঁর (বেজোসের) তথ্যে তারা প্রবেশাধিকার পেয়েছে। গেভিন ডি বেকারকে মিস্টার বেজোস ভাড়া করেছিলেন এটা খুঁজে দেখতে যে, তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের কাছে ফাঁস হলো। মিস্টার ডি বেকার হ্যাকের ঘটনাকে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে দেশটির লেখক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনাটিকে ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদ পরিবেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছিলেন। আরো খবর: নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ নয়: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চালু হলো ই-পাসপোর্ট, জেনে রাখতে পারেন এই ৭ তথ্য ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশি পাসপোর্টের ক্ষমতা বাড়াবে কি? ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি শুরু, সেনেটরদের লড়াই রক্তের কোষ সারাতে পারে সব ক্যান্সার: গবেষণা মাইকে আজানের অনুমতি দিল না এলাহাবাদ হাইকোর্ট প্লাস্টিক দূষণের জন্য কারা বেশি দায়ী?
আমাজনের বস জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করার পেছনে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
২০০০ সালে উপগ্রহ থেকে ধারণ করা ছবিতে ওজোন স্তরে ছিদ্র দেখা যায়। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর এন্টার্কটিকা অংশে সময় লেগে যাবে ২০৬০ পর্যন্ত। জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এটি আসলে সেই উদাহরণ যা থেকে প্রমাণ করা যায় যে বিশ্বব্যাপী এই সংক্রান্ত চুক্তিগুলো কী অর্জন করতে পেরেছে। ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মানুষ সৃষ্টি রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন-এর কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি। আরো পড়ুন: মহাকাশ থেকে ভারতের বাতাস কেন দেখতে ভিন্ন ভিনগ্রহে প্রাণ খোঁজার যত রকম চেষ্টা সরকার-ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের ফলাফল- বিবিসির চোখে তফসিল ঘোষণা: কোন পথে এগোবে ঐক্যফ্রন্ট? ওজোন স্তরের কাজ কী? পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে এই ওজোন স্তরের অবস্থান। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রঙ হীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি। ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এন্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করে। কিভাবে মানুষ এটির ক্ষতির কারণ? ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন গ্যাস বা সিএফসি যেন অনেকটা ওজোন স্তরকে খেয়ে ফেলতে থাকে। এই সিএফসি থাকে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ক্যানে, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারে। ফলস্বরূপ, ১৯৮৫ সালে দেখা গেল যে দক্ষিণ গোলার্ধের ওজোন স্তরে বড়সড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। কতটা খারাপ অবস্থায় ছিল? ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। উপরের ওজোন স্তরের অনন্ত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তবে, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩% হারে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবী। কিভাবে পরিবর্তন এলো? একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা 'মন্ট্রিল প্রোটোকল' নামে পরিচিত তা এই সিএফসি সমৃদ্ধ জিনিসের ব্যবসার প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। ১৮০টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি সিএফসি-র মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। তাহলে কি এখন সবই ভালো হয়ে গেছে? না, এখনো পুরোপুরি সাফল্য আসেনি, বলছেন ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর বায়ার্ন টুন। তার মতে, "আমরা নির্দিষ্ট কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছি যেখানে এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু হয়েছে।" তিনি দেখান যে, এখনো কিছু অংশ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেনি। কিছু ক্লোরিন-যুক্ত রাসায়নিকের নির্গমন বৃদ্ধি এই ওজোন স্তরের নিরাময়কে হ্রাস করতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অতিরিক্ত উষ্ণতা কীভাবে পৃথিবী রক্ষায় অবদান রাখবেন? যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিশেষ করে চীনে এগুলোর উৎপাদন হয় আর মূলত রং বা পিভিসি তৈরিতে এর ব্যবহার, আর এগুলোর নিয়ন্ত্রণও বলতে গেলে নেই। এরপরও ওজোন স্তরের পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকে বড় ব্যাপার বলে মনে করছে অনেক বিশেষজ্ঞ। নাসা'র গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের প্রধান ধরিত্রী বিজ্ঞানী এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টটির সহ-সভাপতি পল নিউ-ম্যান বলেন যে, "এটি আসলেই ভালো খবর।" তার ভাষ্য, যদি ওজোন হ্রাস-কারী পদার্থগুলির উৎপাদন অব্যাহত থাকতো, তবে তার বিপুল প্রভাব দেখা যেত প্রকৃতিতে। তাই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
১৯৮০ সালে প্রথম দেখা গেল যে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ওজন স্তর আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে এখন দেখা যাচ্ছে যে এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায়। তবে দিল্লিতে বায়ুদুষণ এখন এতটাই মারাত্মক রূপ নিয়েছে যে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লির সব স্কুল কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারতেও অনেকেই বলছেন, এত বায়ুদূষণের মধ্যে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হওয়া উচিত নয়। তবে ক্রীড়া সাংবাদিক বর্ষণ কবির দিল্লি থেকে জানাচ্ছেন, দিল্লিতে নেমে তারাও এটা অনুভব করছেন যে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, কখনো কখনো চোখও জ্বালা করে। "বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সময় দেখা গেছে, উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাসসহ তিন-চারজন খেলোয়াড় এবং বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেটোরি মাঠে নেমেছেন মুখোশ পরে।" দিল্লির একটি পার্কে ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে: বায়ুদূষণের মাত্রা ছবি থেকেই স্পষ্ট সংবাদ মাধ্যমে শুক্রবারের প্র্যাকটিসের সময় ড্যানিয়েল ভেটোরি, হেড কোচ রাসেল ডোমিংগো এবং ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির মুখোশপরা ছবিও বেরিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টারের রিপোর্টে বলা হয়, মি. ডোমিংগো দিল্লির ধোঁয়াশা সম্পর্কে বলেছেন "পরিস্থিতি আদর্শ নয়, কিন্তু দুটি দলই এই এই অবস্থার মধ্যে খেলবে - তাই এটা নিয়ে অভিযোগ তুলতে চাই না। এর মধ্যেই খেলতে হবে।" দিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত খেলা হচ্ছে না। আইপিএলের কয়েকটি ম্যাচ অবশ্য দিল্লিতে হয়, যাতে বিদেশি খেলোয়াড়রাও এসে খেলেন। তবে দিল্লিতে শ্রীলংকা-ভারত টেস্ট ম্যাচের সময় খেলোয়াড়দের মাঠে মুখোশ পরে থাকার ছবি নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল। ফিরোজ শাহ কোটলা ২০১৭, মুখোশ পরে আছেন শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা তবে বর্ষণ কবির বলছিলেন, ভারতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই পূর্ণাঙ্গ সফর যেন হয় - সে জন্য অনেকদিন ধরেই দেনদরবার চলছিল, তাই এই দূষণের ব্যাপারটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানো হয় নি বলেই মনে হয়। "বিসিবি হয়তো মনে করেছে যে সফরটা ভালোয়-ভালোয় হয়ে গেলেই ভালো।" বর্ষণ কবির জানাচ্ছেন,বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখতে বেশ কিছু উৎসাহী দর্শককেও দেখা গেছে মাঠে। দিল্লির বায়ুদূষণ এখন বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে দিল্লি শহরের বায়ুদুষণ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কতটা উদ্বিগ্ন - এ প্রশ্ন করা হলে বর্ষণ কবির বলেন, দিল্লির পরিবেশ নিয়ে অন্তত দুজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সাথে কথা বলেছেন তিনি। তারা বলেছেন যে এরকম বায়ুদূষণের মধ্যে খেলায় মনসংযোগ করা সহজ নয়। কেমন খেলবে সাকিব-তামিমবিহীন বাংলাদেশ দল? বর্ষণ কবির বলছিলেন, ক্রিকেটীয় যুক্তিতে বাংলাদেশের একটা ম্যাচ অন্তত ভালো খেলার কথা হয়তো জেতাও সম্ভব। "ভারতের টি-২০ দলের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপ থাকা সত্বেও জসপ্রীত বুমরাহ নেই তাই এটা একটা 'এ্যাডভান্টেজ' - স্লগ ওভারে বাংলাদেশের রান করাটা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে।" "বাংলাদেশ দলের তিন পেসার আল-আমিন, শফিউল ও মুস্তাফিজ - এই তিনজনের আক্রমণের যে বৈচিত্র্য তা ভারতের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কুয়েতে গৃহকর্মী বেচাকেনার অনলাইন 'দাসীর বাজার' বেঁটে পুরুষদের কী যৌনসঙ্গী পেতে সমস্যা হয়? রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ আটকে গেছে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যা নেয়া যাবে না বুকিদের সাথে যোগাযোগের কথা আইসিসিকে না জানানোয় দু'বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান "আর এসব ক্রিকেটীয় যুক্তির বাইরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় - যেবার আইসিএলের জন্য বাংলাদেশ দলের ১০ জন ক্রিকেটার চলে গিয়েছিলেন, তখন এই মুশফিক, সাকিবরা ছিলেন একেবারেই নতুন খেলোয়াড়।" "তাদের নিয়েই বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছিল, চট্টগ্রাম টেস্টেও খুব ভালো অবস্থানে থেকেও হেরে গিয়েছিল।" "এরকম আরো দৃষ্টান্ত আছে যে বাংলাদেশ খারাপ অবস্থানে থেকেও দারুণ লড়াই করতে পেরেছে।" "তাই তামিম-সাকিবের অভাব বাংলাদেশকে তাড়া করবে ঠিকই কিন্তু এই ইতিহাস থেকে ক্রিকেটাররা অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারে।" মাঠে নামা ছাড়া আর কিছু ভাবছি না: সাকিব বায়ুদূষণের কারণে দিল্লিরে এই বাসিন্দারা মুখোশ পরেছেন এ ব্যাপারটা নিয়ে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল সাংবাদিক সম্মেলনে। তবে রোহিত শর্মা জবাব দেন যে এ দু'জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকার পরও বাংলাদেশ দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী, কারণ এ দলটি অনেকদিন দরে একসাথে খেলছে। "এখানে একা হাতে ম্যাচ বের করে নেবার মতো কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। তাই এ দলটিও তাদের দিনে যে কোন বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে" - বলেন তিনি। তাই বাংলাদেশ দলটিকে হালকাভাবে নেবার কোন কারণ দেখতে পাচ্ছেন না রোহিত শর্মা এবং তাদের হারাতে হলে প্রতিটি বিভাগেই ভারতকে শতভাগ ভালো করতে হবে - বলেন রোহিত শর্মা। ক্রিকেট: ভারত ও বাংলাদেশ - কে জিতবে?
দিল্লিতে বিপজ্জনক বায়ুদুষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রোববার ভারতের রাজধানীতে হতে চলেছে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আট উইকেটের ব্যবধানে জয় পাবার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। ওই ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন "ভারতের পারফরম্যান্স ছিল এক কথায় অসাধারণ"। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, "এই জয় ভারতের মনোবল ও আত্মবিশ্বাসকে আরো চাঙ্গা করে দেবে"। "চ্যাম্পিয়্ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের মতো প্রফেশনাল দলকে মোকাবেলা করাটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন হবে"-বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তবে বাংলাদেশও যে ভারতের বিপক্ষে ভালো লড়াই করবে সেটাও মনে করছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। "কাগজে কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই ভালো দল, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের পারফর‍ম্যান্স খুবই খারাপ ছিলো। অন্যদিকে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় দুর্বল দল হলেও তারা দারুণ লড়াই করবে আমার মনে হয়। "কারণ, তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ ভালো। তারা স্পিন ভালো খেলতে পারে, এছাড়া তাদের বোলাররাও ভালো করছে। কিন্তু ভারতের মতো এমন বিধ্বংসী দলকে মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালী দল বাংলাদেশ কিনা সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই"- বলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের ম্যাচের একটি অংশ যেভাবে দুই দলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো রবিবার ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই দলের জন্যই ওভালে ছিল টুর্নামেন্টে বাঁচা-মরার লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এবং ৪৪ ওভার ৩ বলে মাত্র ১৯১ রানেই তারা অল আউট হয়ে যায়। জবাবে ভারত পুরো বারো ওভার বাকি থাকতেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। সেই সঙ্গে তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। বড় রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও ওপেনার শিখর ধাওয়ান। সোফিয়া গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ এর আগেই সেমিফাইনালে তাদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছিল। এখন মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে দ্বিতীয়বার কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্যায়ে তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে। গত তিন বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বার ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ হয়েছিল, তার কোয়ার্টার ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। তবে সেই ম্যাচে আম্পায়ারের বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্যই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব হয়নি - সে দেশের ক্রিকেট অনুরাগী ও এমন কি ক্রিকেট কর্মকর্তারাও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পরের বছর ২০১৬-তে আইসিসি-র টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেও ব্যাঙ্গালোরে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। চরম উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচের ফয়সালা হয়েছিল ম্যাচের একেবারে শেষ বলে - নাটকীয়ভাবে ম্যাচটি এক রানে জিতে নিয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপের যেসব খেলায় জয় পেয়ে বাংলাদেশ চমকে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার একটি মুহুর্তে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আরো পড়তে পারেন: অবশেষে হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হলেন মেলানিয়া বিমান বোঝাই করে কাতারে খাবার পাঠালো ইরান ‘ট্রাম্পের ফোন কল প্রত্যাখ্যানে’ বরখাস্ত হন আইনজীবী
আগামী ১৫ই জুন বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় (বাংলাদেশে বিকেল তিনটায়, আর ভারতে আড়াইটায়)।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চীনের বহু দম্পতি একাধিক সন্তান চেয়েছিল। লিউ-এর বাবা –মা দুজনেই তখন চাকরী করেন। তারা যদি দ্বিতীয় সন্তান নিতেন, তাহলে চাকরী হারাতে হতো। “আমার মা দু’বার সন্তান সম্ভবা হয়েছিলেন। কিন্তু দু’বারই তাকে গর্ভপাত করাতে হয়েছে। কারণ চীনে তখন এক সন্তান নীতি।সবাই সে আইন জানতো।” বিশেষজ্ঞদের মতে এক সন্তান নীতির কারণে চীনে ৪০ কোটি শিশুর জন্ম হয়নি। জুলিয়ানা লিউ বলেন ,“নিজের সবচেয়ে আদরের সন্তান গর্ভাবস্থাতেই মেরে ফেলার বিষয়টি কতটা বেদনার সেটি নিজে মা হয়ে আমি ভাবতেই পারি না।” চীনে অনেক পরিবারের এ ধরনের গল্প রয়েছে। লিউ শৈশবে যাদের সাথে কাটিয়েছেন তাদের কারো ভাই-বোন ছিল না। সবাই ছিল একমাত্র সন্তান। একমাত্র সন্তান হবার কারণে বাবা –মায়ের সব প্রত্যাশা ছিল তাকে ঘিরে। স্কুলে ভালো ফলাফল করা, ভালো চাকরী করা, সঠিক মানুষটিকে বিয়ে করা – এ ধরনের সব প্রত্যাশা। “এক কথায় সব কিছুতেই পরিপূর্ণ হতে হবে। কারণ আমি একমাত্র সন্তান” চীন যখন এক সন্তানের নীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলো তখন জুলিয়ানা লিউয়ের আনন্দে মন ভরে গেলো পাঁচজন থেকে একজন বিবিসি চায়না বিভাগের ইউয়েন ইউ পাঁচ ভাইবোন ছিলেন। কিন্তু তার নিজের এক সন্তান । এক সন্তান হবার কারনে অনেকই সাবলম্বী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি যখন সন্তান সম্ভবা তখন সেই সন্তান জন্মদানের জন্য কত প্রস্তুতি। কারণ সেই সন্তানই প্রথম এবং সেই সন্তানই শেষ। তিনি এক সন্তান নীতিকে সমর্থন করেছিলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন চীনের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রোধের জন্য ব্যক্তিগত কিছু ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার যদি আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতো, তাহলে হয়তো এক-সন্তান নীতির প্রয়োজন হতো না। কমিউনিস্ট আমলে চীনের প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৫৩ সালে। সেখানে দেখা যায়, চীনের জনসংখ্যা তখন ৬০ কোটি। এর মধ্যে তার আগের চার বছরেই চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি! পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাও ইয়েনচু অধিক জন্মহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি বিষয়টি চীনের নেতা মাও সেতুং-এর কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু জন্মহার কমানোর বিষয়টি মাও সেতুং পছন্দ করেননি। কারণ তখন চীনে মনে করা হতো অধিক জনসংখ্যা মানে অধিক কর্মক্ষম মানুষ। সেজন্য তখন পরিবারগুলোকে বেশি সন্তান নিতে উৎসাহ দেয়া হতো। সেজন্য ইউয়েন ইউ-এর বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তান ছিল। কিন্তু এখন ইউয়েন ইউ-এর এক সন্তান। এক সন্তান হবার কারণে অনেকেই বাড়তি যত্নে বেড়ে উঠেছে। তিনি বলেন “ কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে পরিস্থিতি বদলে যায়!” যদি তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হতো তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের উপর এক সন্তান নীতি চাপানোর প্রয়োজন হতো না। এখন এক সন্তান হবার কারণে ইউয়েন ইউ-এর কন্যা অনেকটা স্বাবলম্বী। সে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে এবং কিভাবে বন্ধু তৈরি করতে হয় সেটিও সে জানে। তার মেয়ে স্বাধীন এবং পরিশ্রমী। একমাত্র সন্তান হবার কারণেই ইউয়েন ইউ-এর কন্যা এভাবে গড়ে উঠেছে। ইউয়েন ইউ বলেন, “আমার মেয়ে যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে আমি খুশি। কিন্তু আমার ইচ্ছে হয় – যদি তাকে একটি ভাই-বোন দিতে পারতাম।”
বিবিসি’র হংকং সংবাদদাতা জুলিয়ানা লিউ –এর জন্ম ১৯৭৯ সালে। তখন চীনে এক সন্তান নীতি। তার মা-বাবা দ্বিতীয় সন্তান নিতে পারলেন না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
অনেকে মনে করেন, ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ালেও ধারণক্ষতার অর্ধেক যাত্রী বহন করার নিয়ম মানবে না পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে আগামিকাল অর্থাৎ রোববার থেকে সব অফিস খুলে যাচ্ছে। যদিও দেশটিতে সংক্রমণের মাত্রা এখন বেশ উর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, বাসগুলো তাদের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে পারবে। সব অফিস খুলে দিয়ে বাসে অর্ধেক যাত্রী বহন করার এ সিদ্ধান্ত এক ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পলিয়া খানম। প্রতিদিন তেজগাঁও থেকে শ্যামলী যাতায়াত করতে হয় অফিসের জন্য। আগে যেখানে খরচ হতো প্রতিদিন ৫০ টাকা এখন সেটি ১০০টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তার আশংকা। আগামিকাল থেকে সব অফিস খুললেও গণপরিবহন শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা এতোদিন ঢাকার বাইরে ছিল, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা কিভাবে আগামিকাল অফিসে যোগ দেবে? সব অফিস খুলে দিয়ে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করেন মিস্ খানম। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, গণপরিবহন খুলে দিয়ে তার দুই-তিন পরে অফিস খোলা উচিত ছিল। অফিসও অর্ধেক-অর্ধেক খোলা উচিত ছিল। প্রত্যেকবারই গভর্মেন্ট একই কাজ করেছে - গাড়ি বন্ধ রেখেছে, অফিস খুলে দিয়েছে। জনগণকে ঘোড়ার মতো টেনে নিয়ে আসছে।" একদিকে সকালে ঠিক মতো অফিসে যাবার চিন্তা, অন্যদিকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া। এ দুটো বিষয় মিলিয়ে অনেকের মাঝে চরম উদ্বেগ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যাত্রী ভাড়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেল হক। তিনি মনে করেন, এখন যে ৮০% ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে, সেটি স্বাভাবিক সময়ে কমে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। "যে সঙ্কট বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়লে সেটা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোন নজির নেই। এটা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর সক্ষমতা সরকারের থাকবে বলে আমার মনে হয় না," বলেন মি: হক। স্বাভাবিক সময়ে গণপরিবহনে বেশ ভিড় থাকে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। মালিক পক্ষ ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিলেও সেটি গ্রহণ না করে ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল হকের আশঙ্কা হচ্ছে, একদিকে যাত্রীদের প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হবে, অন্যদিকে বাসগুলোতে আগেরও মতোই গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হবে। "আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ভাড়াটা আদায় করতে কার্পণ্য করবে না। কারণ আমাদের চালক সর্বস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। চালকরা ভাড়াও আদায় করবে, আবার বলবে - আমি অর্ধেক যাত্রী নিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু জোর করে যাত্রী উঠে গেছে," বলেন মি: হক। বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন কেন এবং কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের গন্তব্য হয়ে উঠলো লিবিয়া? পুরোপুরি লকডাউন ছাড়া তুরস্ক যেভাবে কোভিড১৯ মোকাবেলায় সফল হলো মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প করোনাভাইরাস চিকিৎসার ওষুধ আমরা কবে পাবো? এদিকে মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকের পর বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান ইউসুব আলী মোল্লা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসগুলো ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করেছে কিনা সেজন্য বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমাণ দল সেটি পর্যবেক্ষণ করবে। তবে তার এই কথায় যাত্রী ও বিশ্লেষকরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। কারণ অতীতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাসগুলো বেশি ভাড়া আদায় করলেও সেটির বিরুদ্ধে বিআরটিএর তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি শনিবার শেষ হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের মাত্র ৩৫% প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে পারে। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬৫% শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারেনা। ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা তার চাইতেও বেশি। "কিছু বাচ্চা অক্ষরই চিনে না" প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অন্তঃসারশূন্য পাঠের কথা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বসতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আকলিমা সুলতানা। সরকারি নিয়মানুযায়ী শিশুদের বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ওই শ্রেণীতে পরার দক্ষতা শিশুটির নেই। "আমরা হয়তো বয়স দেখে একটা বাচ্চাকে ক্লাস থ্রি-তে ভর্তি করলাম, কিন্তু পরে দেখা যায় যে তারা বাংলা ইংরেজি রিডিং পড়তে পারেনা। কিছু বাচ্চা অক্ষরই চিনেনা। এজন্য আমরাও তাদের পড়াতে পারিনা, কিছু বোঝোতে পারিনা। এটা তো আমাদের জন্যও দুর্ভোগ।" বলেন মিসেস সুলতানা। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান এই শিশুদের কখনোই বাড়িতে আলাদাভাবে যত্ন করা হয়না। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের সবার প্রতি আলাদা আলাদাভাবে নজর দেয়া রীতিমত অসম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। মিসেস সুলতানা বলেন, "আমাদের একেকটা ক্লাসে মনে করেন ৫০জন ৬০জন ছাত্র ছাত্রী। এতোজন শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে বোঝানো তো সম্ভবনা। একটি শিশুর বাসাতেও কিছু প্র্যাকটিস করতে হয়, পড়তে হয়, হোমওয়ার্ক করতে হয় সেই সাপোর্টটা তারা পায়না। কারণ অনেক বাচ্চার বাবা-মা পড়াশোনা জানেন না।" "গ্রামের পাকা পায়খানা বানানোর কাজটাও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা করেন" দুর্বল শিক্ষার্থীদের কাছে পঠন প্রক্রিয়া সহজ করে তুলতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষকের সেই প্রশিক্ষণ নিয়মিত হয়না। মিসেস সুলতানারও সর্বশেষ প্রশিক্ষণ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তাও প্রশ্নপত্র নিয়ে। এরমধ্যে বিষয়ভিত্তিক তার আর কোন প্রশিক্ষণ হয়নি। এই শিক্ষিকার মতো বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষকের বছরের পর বছর কোন ধরণের প্রশিক্ষণ হয়না। যে পরিমাণ শিক্ষার্থী প্রাথমিকে রয়েছে তাদের সবার প্রতি আলাদা মনযোগ দেয়া কঠিন। আরও পড়তে পারেন: কর্মস্থলে যৌন হয়রানীর শিকার নারী যা করতে পারে কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণে আনতে নীতিমালা আসছে স্কুল শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের টাকা কীভাবে দেয়া হবে বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের এই হার এশিয়ায় মধ্যে সবচেয়ে কম। ইউনেস্কোর সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে। একে তো শিক্ষার্থীদের অনুপাতে প্রয়োজনীয় দক্ষ শিক্ষকের অভাব। তারমধ্যে যে ক'জন আছেন তারাও তাদের পুরো সময় পাঠদানে দিতে পারেন না। সব মিলিয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব শেখ ইকরামুল কবির। "সরকারের এমন কোন কাজ নাই যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটগ্রহণ এমনকি গ্রামের পাকা পায়খানা বানানোর কাজটাও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা করেন। এবং এই সব কাজ স্কুল খোলা থাকার সময় হয়। ফলে শিক্ষকদের যতো শিক্ষা ঘণ্টা পাঠদান করানোর কথা ততোক্ষণ তারা পাঠদান করাতে পারছেনা।" বলেন মিঃ কবির। শিক্ষকদের অল্প বেতন, সেইসঙ্গে মর্যাদাও কম হওয়ায় এই পেশার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এসব কারণে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া একজন শিক্ষার্থীর যে পরিমাণ জ্ঞান থাকা দরকার তার অর্ধেকও তারা অর্জন করতে পারেনা। দুর্বল শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ মনোযোগ এমন অবস্থায় শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিকের প্রতিটি দুর্বল শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্বব্যাংক এবং ইউনেস্কোর প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী বছরের মধ্যে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্বল শিক্ষার্থীদের সবল করে তোলার বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন। এতো কম সময়ে এবং এতো সীমাবদ্ধতার মধ্যে তারা এই লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মিঃ হোসেন বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানান। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে উপযোগী শিক্ষা উপকরণ প্রতিটি স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে সরবরাহ করা জরুরি। "প্রথমত আমাদের স্কুলগুলোর শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষার মান তদারকি করতে। আমাদের লক্ষ্য দুর্বল স্কুল এবং দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা। এবং বিশেষ মনোযোগের মাধ্যমে তাদের সবল করে তোলা।" বলেন মিঃ হোসেন। এজন্য প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষকতার বাইরে তাদের যেন বাড়তি কাজ করতে না হয় সেদিকটাও মনিটর করা হবে বলে জানান তিনি। "প্রতিটি স্কুলে গণিত অলিম্পিয়াড চালুর ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া শিশুদের রিডিং ও রাইটিং এর উন্নয়নে 'ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড' কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিটি শিশুকে একদিন একটা ইংরেজি শব্দ এবং একটি বাংলা শব্দ শেখানো হবে।" সব মিলিয়ে ২০২০ সাল নাগাদ প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিটি শিশুকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে বলে আশাবাদী মিঃ হোসেন। সরকারের মনযোগ সংখ্যায়, মানের দিকে নয় বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় দুই কোটি ১৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ২০২০ সালের মধ্যে মান সম্মত শিক্ষা দেয়া রাতারাতি সম্ভব নয় বলে মনে করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। কেননা প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রবর্তন করা হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের সমন্বয়হীনতার সেইসঙ্গে বিনিয়োগের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এছাড়া শ্রেণীকক্ষে গুণগত পাঠের বিষয়টি শিক্ষকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করলেও সেই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। "সরকার সবার জন্য শিক্ষা বিষয়টার দিকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে শুধু সংখ্যার দিকে মনযোগ দিয়েছে। সংখ্যা কিন্তু আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা কতোটা জ্ঞান অর্জন করল, সেটার দিকে দৃষ্টি দেয়া।" এজন্য শিক্ষার্থীদের বয়স উপযোগী পাঠ্যক্রম সাজানোর পাশাপাশি তাদের উপযোগী শিক্ষা উপকরণ প্রতিটি স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে সরবরাহ করা জরুরি বলে তিনি জানান। যার জন্য মোটা অংকের বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু পুরো এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ জিডিপির হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সবচেয়ে কম। এই খাতে বিনিয়োগ না করলে, শিক্ষকদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে না তুললে, সর্বোপরি প্রাথমিক শিক্ষার আধুনিকায়ন করা না হলে মানোন্নয়ন সম্ভব হবেনা বলে জানান মিসেস চৌধুরী। এবারের এসডিজি প্রকল্পের লক্ষ্য শুধু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো নয় বরং তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। এতো সীমাবদ্ধতার মধ্যে সরকার কীভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করবে সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আরো খবর: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে কেন এতো বিতর্ক? উইকেট রক্ষণে নড়বড়ে মুশফিক, ব্যাটিংয়ে পড়ছে প্রভাব কানাডা নির্বাচন: জাস্টিন ট্রুডো কি বিপদে আছেন? কেন মানুষ মিথ্যা না বলে থাকতে পারে না
বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮% হলেও এই শিশুরা কতোটা মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নববর্ষের দিন মোটর বাইকে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া দু'জন উঠতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। (ফাইল ফটো) ঐ নির্দেশনার বলা হয়েছিল, "এক মোটর সাইকেলে চালক ছাড়া কোনো আরোহী থাকবেন না, তবে স্বামী-স্ত্রী একসাথে মোটর সাইকেলে উঠতে পারবেন।" সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বিবিসি বাংলাকে জানান, নববর্ষের দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। মি. মুসা বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে যেখানে মোটর সাইকেলে দু'জন আরোহী মিলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন।" "এই ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।" আরো পড়তে পারেন: দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তি'তে ব্যবহার করছিলেন আসঞ্জ মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে অস্বীকৃতি প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে একে অপরকে রক্ষা করছেন যে নারীরা "তাই আমরা চাই না একটি মোটর সাইকেল একের অধিক যাত্রী বহন করুক। নির্দেশনায় বলা আছে একসাথে বা দলগতভাবে মোটর সাইকেল চালিয়ে জনগণের মনে আতঙ্ক তৈরি করা যাবে না।" কিন্তু নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী বাদে মোটর বাইকে অন্য যুগল উঠলে কী করবে পুলিশ? মি. মুসা বলেন, "আমরা বিষয়টা আসলে ঐভাবে বোঝাই নি। একজন ব্যক্তি তার মা, বোন বা মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে মোটর সাইকেলে উঠতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এটিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বলে মনে করি না আমরা।" যদিও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনায় ছিল যে একটি মোটর সাইকেলে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীই বসতে পারবেন, অন্যথায় চালক বাদে অন্য কেউ থাকতে পারবেন না মোটর সাইকেলে। তবে মি. মুসা বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, নববর্ষের দিন স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও একজন ব্যক্তি তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে মোটর সাইকেলে উঠতে পারবেন। এ সম্পর্কে মি. মুসা বলেন, "এই বিষয়ে যেন ভুল ধারণা তৈরি না হয় সেসম্পর্কে আমরা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।" মি. মুসা বলেন এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে নববর্ষের দিন যেন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ ও নববর্ষের দিন নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি পুনরায় পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে। বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারের সময় মি. মুসা জানান, বিষয়টির সংশোধনী সম্পর্কে অবহিত করার জন্য দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এবং সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তবে রাত ১টা ১৯ মিনিটের দিকে 'সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এসএমপি' নামে একটি ফেসবুক পাতায় নির্দেশনাটির পোস্টটি সম্পাদনা [এডিট] করা হয় এবং ২টা ১২ মিনিটের দিকে এ বিষয়ে সংশোধনী প্রকাশ করা হয়। এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এই বিবৃতি নিয়ে ফেসবুক কমেন্টে এবং বিভিন্ন পেইজে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে পোস্ট করেছেন অনেকেই। দুলাল দাস নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রেমিক প্রেমিকারা সাবধান...স্বামী-স্ত্রী আপনারা কাবিননামা সাথে নিয়ে বের হবেন।" জয়নুল আবেদিন জয় ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, "আজ বউ নাই বলে মোটর সাইকেলে উঠতে পারবো না।" আরো পড়ুন: স্কুটিতে আগ্রহ বাড়ছে গৃহিণী, ছাত্রী, পেশাজীবী তরুণীদের সাংবাদিকদের চোখে মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা ঢাকায় বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানো থামছে না ঢাকায় মোটর সাইকেল কেন জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠলো?
বাংলা নববর্ষের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নির্দেশনা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভেনেজুয়েলা সীমান্তে ব্রাজিলের সৈন্য জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার "ট্রাজিক" পরিস্থিতি পুরো দক্ষিণ আমেরিকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকিতে ফেলেছে। "ভেনেজুয়েলার সমস্যা এখন আর তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় নয়, এই সঙ্কট এখন পুরো মহাদেশের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।" ভেনেজুয়েলায় গত বেশ কিছুদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে খাবার এবং ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ স্রোতের মতো আশপাশের দেশগুলোতে ঢুকছে। সম্প্রতি স্থানীয়দের সাথে এই অভিবাসীদের সম্পর্কে উত্তেজনা, সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ব্রাজিলের সীমান্তে বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়েছে। ভেনেজুয়েলার সাথে সীমান্তে পাসারাইমা শহরে এ ধরনের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সৈন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন গত সপ্তাহে সেখানে অভিবাসীদের অস্থায়ী শিবিরগুলোতে হামলা চালায়, অনেক শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমার ভেনেজুয়েলার সাথে পুরো সীমান্তজুড়ে সৈন্য মোতায়েনের এক আদেশ জারী করেন । ভেনেজুয়েলার আরেকটি প্রতিবেশী দেশ পেরু তাদের উত্তরের সীমান্তবর্তী দুটো প্রদেশে দুই মাসের জন্য 'স্বাস্থ্যখাতে জরুরী অবস্থা' জারী করেছে। সেখানকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে আসা মানুষজন রোগ ছড়াতে পারে। ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী রোরাইমা প্রদেশে রাস্তার পাশে ভেনেজুয়েলান মা ও শিশু আরও পড়ুন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে কী বলছে মিয়ানমার পাইলট চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা যতটা কী হচ্ছে ভেনেজুয়েলায়? ২০১৪ সালে বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারে ধস নামার পর যে সঙ্কটে পড়ে যায় ভেনেজুয়েলা, তা গত চার বছর ধরে দিন দিন বাড়ছে। প্রতি পাঁচজনের চারজনই এখন দারিদ্রের ভেতর বসবাস করছেন। খাবারের জন্য মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিতে হয়। ওষুধের অভাবে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এ মাসে দেশের মুদ্রা পরিবর্তন করেন, কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে ঢুকেছে, যেটাকে লাতিন আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসন সঙ্কট বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে অভিবাসীর যে ঢল নেমেছিল, ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতিকে তার সাথে তুলনা করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় রাস্তার পাশে একদল ভেনেজুয়েলান অভিবাসী প্রতিবেশীরা কী করছে? কলম্বিয়াতে এখন ভেনেজুয়েলানের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। একুয়েডরে পাঁচ লাখের বেশি, পেরুতে কমপক্ষে চার লাখ। ব্রাজিলে ৬০,০০০। কয়েকটি সীমান্ত শহরে ভেনেজুয়েলানদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সৈন্য মোতায়েনের বিরল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ মাস থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু করেছে পেরু। জাতীয় পরিচয়পত্রের বদলে এখন থেকে পাসপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। তবে হাজার হাজার মানুষ পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে ঢুকছে। একুয়েডরও একই নিয়ম চালু করলে, সেদেশের আদালত তা আটকে দেয়। ব্রাজিল তাদের উত্তরের রোরাইমা সীমান্ত বন্ধ করে দিতে চাইলে আদালতের কারণে তা পারেনি। একুয়েডর, পেরু, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে এক জরুরী বৈঠকে বসছেন। মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এ মাসে দেশের মুদ্রা পরিবর্তন করেন, কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। ভেনেজুয়েলা কী বলছে? অনেকেই এই পরিস্থিতির জন্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো এবং তার সোশ্যালিস্ট সরকারকে দায়ী করছে। কিন্তু মি মাদুরো দায়ী করছেন পশ্চিমা দেশগুলোকে। তিনি বলেছেন, "সাম্রাজ্যবাদীরা"- ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র - ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে "অর্থনৈতিক যুদ্ধ" শুরু করেছে, তার সরকারের বহু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভেনেজুয়েলার সংসদের স্পিকার বলেছেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে ইচ্ছা করে বর্তমানের এই অভিবাসন সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। ডিওসডাডো কাবেলোকে উদ্ধৃত করে ভেনেজুয়েলার স্থানীয় মিডিয়া বলছে, "পেরুর রাস্তার পাশ দিয়ে, একুয়েডর কলম্বিয়ার রাস্তা ধরে সারি বেঁধে মানুষজন হাঁটছে, এই ছবি দেখে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে না?" ".. লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশনের পাতানো খেলা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছে।"
ভেনেজুয়েলা থেকে অব্যাহত মানব-স্রোত সামলাতে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েনের আদেশ জারি করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট । আদেশে বলা হয়েছে - সীমান্তে "আইন-শৃঙ্খলা" পরিস্থিতি সামাল দিতে সৈন্য পাঠানো হচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
টেলিভিশনে লাইভ অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস সোমবার একটি টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে ও সন্তানের খবর জনসমক্ষে প্রকাশ করার সময় অপু বিশ্বাসকে কাঁদতে দেখা যায়। অপু বিশ্বাস জানান, শাকিবকে বিয়ে করে তিনি নিজের নাম পাল্টে রাখেন অপু ইসলাম খান। ২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু শাকিবের কেরিয়ারের কথা বিবেচনা ঐ বিয়ের খবরটি সে সময় গোপন রাখা হয়। এবং তিনি চলচ্চিত্র থেকে সরে আসেন। প্রায় নয় বছর পর এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ করার সময় অপু বিশ্বাস বলেন, তিনি শাকিবের ভালো চিন্তা করে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। "আমি আট বছর চুপ ছিলাম। কারণ আমি তখন একা ছিলাম। কিন্তু এখন আমার সাথে ও (সন্তান।)," তিনি বলেন, " অনেক কষ্ট সহ্য করেছি … অনেক অপমানিত, লাঞ্ছিত। টর্চার অনেক হয়েছে।" ধৈর্য ধরতে ধরতে শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছেন বলেই তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। এতদিন পর এই গোপন বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি জনসমক্ষে আনার পেছনে অপু বিশ্বাস ঢালিউডের একজন উঠতি নায়িকা বুবলির সঙ্গে শাকিব খানের অন্তরঙ্গতাকে তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে শাকিব খানের কোন বক্তব্য জানা যায়নি। আরো দেখুন: লিবিয়াকে তিন টুকরো করতে ট্রাম্প উপদেষ্টার পরিকল্পনা মডেলের মৃত্যুতে সহপাঠীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেছেন, বর্তমান কালের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং তাদের একটি ছেলেও আছে। ছেলের নাম আব্রাহাম খান জয়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
'পানি এত নোংরা যে ভাতের রং বদলে যায়' ওয়াসা ভবনে আসা জুরাইনের এক নারী কয়েকদিন আগে ওয়াসার এমডি বলেছিলেন 'ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়' । আর ওয়াসার এমডির মন্তব্যের প্রতিবাদে তাদের এমন অভিনব প্রতিবাদ। "আমাদের কি সুপেয় পানি দেয়া হচ্ছে ? পানি এত নোংরা যে ভাতের রং বদলে যায়। আমরা পানি কিনে এনে খাচ্ছি। পানি এত দুর্গন্ধ অন্য কাজ করলে দুর্গন্ধ দূর থেকেই পাবেন। ওয়াসাকে জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছিলাম আপনারা কি ছোটখাট কমপ্লেইনগুলো আমলে নেন? আমার এলাকাবাসী বা অন্য যারা এই পানি সমস্যায় পড়বে তাদের কি সরাসরি প্রেস কনফারেন্স করতে হবে?" বলছিলেন প্রতিবাদ জানাতে আসা জুরাইনের বাসিন্দা মাসুরা আহমেদ শুচি। একটি কাচের জগে পানি, এক কেজি চিনি, কয়েকটি লেবু আর ছুরি নিয়ে মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে হাজির হয়েছিলেন মিজানুর রহমান, মাসুরা আহমেদ শুচিসহ জুরাইনের কয়েকজন বাসিন্দা। উদ্দেশ্য ছিল ওয়াসার এমডিকে তার ভাষা অনুযায়ী 'সুপেয় পানি'র শরবত বানিয়ে খাওয়াবেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। "উনি আজকে আসছেন শরবত খাওয়াতে, আমরাও গ্রহণ করলাম। তবে উনি যে শরবত বানিয়ে এনেছেন ওটা কোন পানি দিয়ে বানিয়ে এনেছেন তা আমি বলতে পারবো না।" "ওয়াসার এমডি যে কয়দিন আগে বললেন এই পানি নাকি শতভাগ সুপেয় এটাতো হাস্যকর, নির্লজ্জ ও অসত্য কথা। যুগের পর যুগ জুরাইনের পানির অবস্থা খুব খারাপ। আমরা কমপ্লেইন করেও কোন প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে এ বাজে পানি ব্যবহার করি, শুধু খাবার পানিটা কিনে খাই।" ওয়াসার এমডি যেহেতু বললেন এটা 'সুপেয়' তার প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছিলাম আমার এলাকার ওয়াসার পানি দিয়ে বানানো শরবত তাকে খাওয়াতে। কিন্তু পেলাম না। আরেকজনকে পেলাম, তিনি আমাদের অভিযোগ অস্বীকার করলেন, বললেন এই পানি ওয়াসার না। তিনি নাকি আমাদের কমপ্লেইনও কখনও পাননি!" "কী আর করবো, আজকে তো কয়জন এসেছি। প্রতিকার না পেলে ভবিষ্যতে আমরা সবাই মিলে আসবো"। এমন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে ওয়াসার কর্মকর্তারা কী বলছেন? "উনি আজকে আসছেন শরবত খাওয়াতে, আমরাও গ্রহণ করলাম। তবে উনি যে শরবত বানিয়ে এনেছেন ওটা কোন পানি দিয়ে বানিয়ে এনেছেন তা আমি বলতে পারবো না। সমস্যার কথা জানালেন, আমরাও জানলাম। অতি দ্রুত এর সমাধান করার চেষ্টা করবো। সমস্যা সমাধান করে তারপর জুরাইনে গিয়ে শরবত খেয়ে আসবো আমরা" -বলেছেন ঢাকা ওয়াসার একজন প্রকৌশলী একেএম সহিদউদ্দিন। ওয়াসার পানি দূষিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন " এই শহরে আপনি-আমি থাকি সবাইকে দূষিত পানি খাওয়ালে আল্লাহও তো আমাকে ছাড় দিবে না। সারা ঢাকা শহরে দূষিত পানি নাই। যেসব জায়গায় আছে জানলে আমরা তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেই, এটা আমাদের কাজও। উনি সমস্যা নিয়ে আসছেন , আমরা সমাধান করে দেব। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ঢাকায় পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ বা ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায় গ্রাহকদের কাছ থেকে। 'রাজধানীর ৯১ শতাংশ মানুষ পানি ফুটিয়ে খান' সম্প্রতি টিআইবির এমন মন্তব্যের পর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন 'ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। তার পর থেকে এই মন্তব্য নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার সামাজিক মাধ্যমে পাঠকদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে পাওয়া যায় নানা প্রতিক্রিয়া। যেমন ইকবাল হোসেন নামে একজন লিখেছেন "সুপেয় শব্দটির ব্যাখা ওয়াসার এমডির কাছে চাই। ঢাকাবাসীর সাথে কি উনি মজা করছেন?" ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত খাওয়ানোর উদ্যোগকে 'দারুণ প্রতিবাদ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। রাহান তাপস নামে একজন লিখেছেন "দারুন প্রতিবাদ আমিও আছি সাথে"। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আচরণ ও কথাবার্তা কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন অনেকে। যেমন ইলিয়াস হোসেন লিখেছেন- "আমাদের দেশে দায়িত্বশীল পদের ব্যক্তিরা তাদের সম্মান অনুযায়ী কথা বলেন না। তাদের সম্মান তাঁরা নিজেরাই নষ্ট করছেন।" "দায়িত্বশীল পদের লোকদের বাচনভঙ্গি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।" লিখেছেন রোকন জামান। ওয়াসা ভবনের সামনে অভিনব প্রতিবাদ
ওয়াসার এমডিকে 'সুপেয় পানির' তৈরি শরবত খাওয়ানোর জন্য কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে হাজির হয়েছিলেন ঢাকার জুরাইনের কয়েকজন বাসিন্দা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে শ্রীনগরের উপকন্ঠে বিক্ষোভ। ২০শে আগস্ট, ২০১৯ কাশ্মীর থেকে বিবিসি ও রয়টার্স সংবাদদাতারা নিশ্চিত করেছেন, শহরের কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের যৌথ সংগঠন 'জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপের'র নামে ওই ধরনের পোস্টার চোখে পড়ছে। তবে যেহেতু ওই নেতারা এখনও আটক বা গৃহবন্দী, ফলে সত্যিই তারা ওই ডাক দিয়েছেন কি না তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। দুসপ্তাহ আগে শ্রীনগরেরই সৌরা এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর বেশ কয়েকশো মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল, যে ভিডিও বিবিসিতে প্রকাশিত হলে তা আলোড়ন ফেলে দেয়। কাল শুক্রবারের নামাজের আগেও নিরাপত্তাবাহিনী শ্রীনগর-সহ গোটা কাশ্মীরকে কঠোর নিরাপত্তা ও কারফিউতে মুড়ে রেখেছে। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ফাইল ছবি গত ৫ আগস্ট ভারত সরকারের কাশ্মীরের স্বশাসন কেড়ে নেওয়ার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘোষণার অনেক আগে থেকেই সেখানকার হুরিয়তপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হয় গৃহবন্দী, নয় জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। ফলে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক বা ইয়াসিন মালিকের মতো কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা 'জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপ' নামে যে যৌথ নেতৃত্ব গঠন করেছিলেন তাদের দিক থেকে এযাবত কোনও কর্মসূচীর ঘোষণা আসেনি। কিন্তু ভারতের পার্লামেন্টে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার দুসপ্তাহ পর অবশেষে সেই যৌথ নেতৃত্বের নামে পোস্টার পড়েছে - সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যেন এই শুক্রবারের নামাজের পর বিপুল সংখ্যায় সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। শ্রীনগর থেকে বিবিসি উর্দুর রিয়াজ মাসরুর এদিন বলছিলেন, "পোস্টারগুলো যে হুরিয়ত নেতাদের সঠিক লেটারহেডে তা ঠিক বলা যাবে না, তবে সৌরা-সহ শ্রীনগরের কিছু এলাকায় সত্যিই এগুলো দেখা যাচ্ছে।" "তবে ২০১৬তে বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপ পোস্টারে যে ধরনের ক্যালেন্ডার বের করত - যে অমুক দিন হরতাল হবে, তমুক দিন বিক্ষোভ মিছিল - এই পোস্টারগুলোও অনেকটা সে ধরনের।" হুরিয়তের যৌথ নেতৃত্বের দুই স্তম্ভ - ইয়াসিন মালিক (বাঁয়ে) ও মিরওয়াইজ ওমর ফারুক "কিন্তু এগুলো আসলেই হুরিয়ত নেতাদের জারি করা আহ্বান কি না, তা যাচাই করার কোনও উপায় নেই।" "কারণ তাদের শীর্ষ নেতৃত্বই শুধু নয় - দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির নেতারাও সবাই গত বেশ কয়েকদিন ধরে আটক, বাইরের জগতের সঙ্গে তাদের কোনওরকম যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।" "এই পটভূমিতে পোস্টারগুলো সত্যিই তাদের কিনা, এটা বলা খুব মুশকিল", বলছিলেন ওই বিবিসি সংবাদদাতা। এদিকে রয়টার্স জানাচ্ছে, শ্রীনগরের দেওয়ালে সাঁটা এমনই একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, "প্রত্যেক কাশ্মীরি - তরুণ বা বৃদ্ধ, পুরুষ বা মহিলা - সবাইকে বলা হচ্ছে শুক্রবারের নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে।" সেই প্রতিবাদ যে 'হুকুমত' বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সেটাও। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের একটি বন্ধ বাজারের সামনের দৃশ্য শ্রীনগরে জাতিসংঘের যে সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর (ইউএনএমওজি) কার্যালয় আছে, প্রতিবাদ মিছিল সেই অভিমুখে যাবে বলেও জানানো হয়েছে। ১৯৪৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে প্রথম যুদ্ধের পরই জাতিসংঘের এই কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। এখন এই পোস্টারের আহ্বানে কতটা সাড়া মিলবে তা স্পষ্ট নয়, কিন্তু নামাজ-পরবর্তী জমায়েত ঠেকাতে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। রিয়াজ মাসরুর বলছিলেন, "কাশ্মীরে এক মাস বা দুমাস ধরে টানা কারফিউ বা ব্ল্যাকআউট কোনও নতুন ঘটনা নয়।" "কিন্তু তার পরেও এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা, কারণ যোগাযোগের একটা রাস্তাকেও এবার ছাড় দেওয়া হয়নি।" বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরের রাজপথে "আগামিকাল শুক্রবারের আগে সেই ফাঁস যেন আরও এঁটে বসেছে।" "যে এলাকাতেই যাচ্ছি, মানুষ ঘিরে ধরে প্রশ্ন করছেন - এবার কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগবে? আরও কঠোর ক্র্যাকডাউন শুরু হবে? উত্তর কারওরই জানা নেই, আর সাধারণ মানুষও যেন নিরবিচ্ছিন্ন আতঙ্কের ঘেরাটোপে বন্দী!" গত কয়েকদিনে কাশ্মীরের যেখানেই মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেছে - নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। চালানো হয়েছে বা পেলেট গান বা ছররা বন্দুকও, যাতে ঘায়েল হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেকেই। কাল শুক্রবারেও শ্রীনগরে এমন কোনও সংঘাত দেখা যাবে কি না, সেই আশঙ্কা রয়েছে পুরোদস্তুরই।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে আগামিকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর যাতে মানুষ কারফিউ অমান্য করে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়, সেই ডাক দিয়ে শ্রীনগরে হুরিয়ত নেতাদের নামে পোস্টার পড়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে বলেছে, গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২০৪ জন নিহত হয়েছে। নিহত হন সাব্বির আহমেদ নয়ন, যিনি নয়ন বন্ড নামে পরিচিত। তিনি বরগুনা শহরে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার মামলা এক নম্বর অভিযুক্ত। এই মামলায় নয় জন গ্রেফতার রয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেছেন, "পুলিশ সেখানে বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছিল।" বরগুনার এই ঘটনা ছাড়াও কক্সবাজারের টেকনাফে একটি ইউনিয়নের একজন কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়াও আজ ঢাকার অদূরে গাজীপুরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের কথা পুলিশ বলেছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে বলেছে, গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২০৪ জন নিহত হয়েছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাগুলোর প্রায় একইরকম বর্ণনা তুলে ধরে। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলছেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকেই একটা সমাধান হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে এখন তাদের মনে হচ্ছে। আরো পড়ুন: “বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে স্বাধীন তদন্তের সুযোগ নেই” বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে পুলিশের ভাষ্যই বিশ্বাস করবে মিডিয়া? 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনায় আইনি প্রতিকারের উপায় কী? অভিযোগ: মাদক বিস্তারের দায় এড়াতেই 'বন্দুকযুদ্ধ' মাদকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। "রাষ্ট্র থেকেই সংকেতটা সবাইকে দেয়া হচ্ছে যে, আসলে বিচারের ন্যায় সঙ্গত যে উপায় আছে, সেই উপায়ে আমরা এখন আর সমস্যার সমাধান করতে পারছি না।" "সেটা করতে পারছেন না বলে যেখানে চাপের মুখে পড়ছে তারা, সেখানে চটজলদি একটা উপায় বের করার চেষ্টা করছেন।" তিনি বলছেন, "বন্দুকযুদ্ধ নামে যেটা শুনি, সেটা কখনও ক্রসফায়ার, কখনও এনকাউন্টার ইত্যাদি নামে শুনেছি। এই ইত্যাদি নামে এটিকে তারা জনসাধারণের কাছে একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে দিয়েছেন এই বলে যে,অভিযুক্তদের এছাড়া আর কোনভাবে দমন করা যাবে না।" "সেজন্য তারা কখনও কখনও জনসমর্থন হয়তো পাচ্ছেন। কিন্তু এটা যে অন্যায্য বা অসাংবিধানিক - এটা বোঝার মতো পরিবেশটাও তারা কিন্তু আর বজায় রাখছেন না।" সুলতানা কামাল আরো বলেছেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকায় এটাও প্রমাণ হচ্ছে যে আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এসব বক্তব্য মানতে রাজি নয় সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছিলেন, বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে। "এসব আসামীদের ধরতে গেলে তারা যখন বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়, এটা সেল্ফ ডিফেন্স।" তিনি বলেন, "এটা আইনের মধ্যে আছে যে, সেল্ফ ডিফেন্সে [আত্মরক্ষায়] গুলি করা যায়। তাতে যদি তারা মরে, এটাকে কেউ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বললে সেটা ঠিক হবে না।" "তারপরও আমরা সব বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা থেকেই বিভিন্ন অপরাধের মামলার এসব আসামীদের ধরার চেষ্টা হয়।" আইনমন্ত্রী মনে করেন, বিচার এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমেনি। একইরকম বক্তব্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে তারা তুলে ধরছেন ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান হত্যাকাণ্ডসহ সম্প্রতি আলোচিত কিছু ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়কে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে বাংলাদেশ-ভারত খেলার উত্তেজনা সামাজিক মাধ্যমে 'ডাকলে চোখ মেলে তাকাচ্ছেন এরশাদ' থাকার জায়গা পেলেন ঝালকাঠির সেই নারী নাপিত
বরগুনার পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ভোর রাতে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
চীনা ভাষায় এখানে লেখা আছে- এ পরিবারের জরুরী অর্থ দরকার এবং এই মা ১০ ইউয়ানের বিনিময়ে ১ মিনিট দুধ পান করাবেন বয়সে তরুণ এই মা রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের বুকের দুধ বিক্রি করছেন এমন ভিডিওতে সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। মিয়াওপাই ভিডিও ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা যায় ওই নারী ও তার স্বামী ব্যাখ্যা করছেন যে তাদের প্রায় এক লাখ ইউয়ান দরকার যা প্রায় ১১ হাজার পাউন্ডের কিছুটা বেশি। আরও পড়ুন রায়ের আগে সিলেট যাত্রা খালেদা জিয়ার গণজাগরণ মঞ্চ এখন কোথায়? কী করছে? আর এটা দরকার তাদের সন্তানের জন্য যে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের এ ভিডিওটি এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ২৪ লাখ বার। যাতে কমেন্ট এসেছে অন্তত ৫ হাজারটি। ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে শেনজেন চিলড্রেনস পার্কে যাতে ওই মা বলছেন তিনি তার বুকের দুধ বিক্রি করছেন দ্রুত অর্থ আয়ের জন্য, কারণ তার জমজ বাচ্চার একটি হাসপাতালে আছে। সেনজেন অনলাইন প্রেস অফিস বলেছেন তারা ওই নারীকে চিহ্নিত করেছে এবং ঘটনাটি সত্যি তার স্বামী বলেন হাসপাতালে এখনই অনেক বাকী পড়ে গেছে এবং চিকিৎসক বলেছেন বাচ্চা সুস্থ হলেই তাদের অন্তত এক লাখ ইউয়ান বিল দিতে হবে। তবে ভিডিওটি পোস্ট হবার পর যেসব কমেন্ট এসেছে তার বেশিরভাগই এসেছে সহানুভূতিমূলক। অনেকেই এমন মন্তব্য করেছেন, "দুধ বিক্রি, মেয়েকে বাঁচাও"। অনেকেই বলছেন রাস্তায় পেলে অবশ্যই তারা তার পাশে দাঁড়াবেন। তবে অনেকে আবার সমালোচনাও করেছেন। তারা বলেছেন সাহায্য পেতে এটি একটি অশ্লীল পথ। আরও পড়ুন একজনের মাথা, আরেকজনের দেহ: ভুয়া পর্নো একুশে বইমেলা: ভয়ের ছায়া এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় লেখক-প্রকাশকদের
সন্তান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ। উপায়ন্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন এক চীনা মা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কর্মকর্তারা বলছেন আনাক ক্র্যাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাত সাগরের তলদেশে ধস সৃষ্টি করে থাকতে পারে, যার কারণে সুনামি হয়ে থাকতে পারে। এই সুন্দা প্রণালী জাভা আর সুমাত্রা দ্বীপের মাঝখানে এবং জাভা সাগর এই প্রণালীর মাধ্যমে যুক্ত ভারত মহাসাগরের সাথে। এই সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি, উপড়ে গেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, ভেসে গেছে গাড়ি এবং মানুষ। কীভাবে এই সুনামির উৎপত্তি? অগ্ন্যুৎপাত বিশেষজ্ঞ জেস ফিনিক্স বিবিসিকে বলেছেন যখন আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্গীরণ শুরু হয়, তখন উত্তপ্ত ম্যাগমা ভুগর্ভ থেকে ঠেলে ওপরে ওঠে। এর ফলে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা পাথরগুলো ভাঙতে শুরু করে, যার ফলে ঘটতে পারে ভূমিধস। আনাক ক্র্যাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির কিছু অংশ রয়েছে সাগরের নিচে। তিনি বলছেন "সে কারণে এক্ষেত্রে ভূমিধস হয়েছে সমুদ্রের তলদেশে। এবং এর ফলে সাগরে তৈরি হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।" এর থেকেই সুন্দা প্রণালীতে সুনামি সৃষ্টি সম্ভব বরে তিনি মনে করছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আনাক ক্র্যাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিকে সক্রিয় হতে দেখা গেছে। ইন্দোনেশিয়ার জিওলজিক্যাল সংস্থা বলছে শুক্রবার রাতে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে দু মিনিট ১২ সেকেণ্ড ধরে। এর ফলে পাহাড়ের মাথায় ৪০০ মিটার উপর পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল ছাইয়ের মেঘ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সুনামিতে লন্ডভন্ড সুলাওয়েসি, নিহত প্রায় ৪০০ পালুর সুনামিতে ১৯ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হলো কীভাবে? ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপে চলছে তল্লাশি সুনামি আঘাত হানার পর প্রাণ বাঁচাতে পানডেগলাং শহরের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় মসজিদে ইন্দোনেশিয়া কি সুনামি-প্রবণ? ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির বড়ধরনের আশংকা রয়েছে। কারণ দ্বীপটি রিং অফ ফায়ারের (অগ্নি-বলয়) মধ্যে অবস্থিত। গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা যে বলয়ের মধ্যে তাতে ঘনঘন ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত ঘটার আশঙ্কা যে বৃত্তের মধ্যে তাকে বলা হয় অগ্নি বলয় বা রিং অফ ফায়ার। এই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়াসি দ্বীপে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিল দু হাজারের বেশি মানুষ। ওই ভূমিকম্পের কারণেও উপকূলীয় পালু শহরকে গ্রাস করেছিল এক বিধ্বংসী সুনামি। সুন্দা প্রণালীতে অবস্থিত এই আনাক ক্র্যাকতোয়া আগ্নেয়গিরি দ্বীপ এর আগে ২০০৪ সালে ২৬শে ডিসেম্বর, ভারত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট একের পর এক প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ১৪টি দেশে প্রান হারিয়েছিল প্রায় ২,২৮,০০০ মানুষ। এদের অধিকাংশই মারা যায় ইন্দোনেশিয়ায়। তবে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এধরনের সুনামির নজির তুলনামূলক হিসাবে কম। ক্র্যাকাতোয়া- কতটা বিপদজনক? আনাক ক্র্যাকাতোয়া নতুন দ্বীপ। ক্র্যাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ থেকে এর জন্ম ১৯২৭ সালে। ১৮৮৩র অগাস্ট মাসে ক্র্যাকাতোয়ায় যে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হিসাবে নথিভুক্ত হয়ে আছে। কী ঘটেছিল সেই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে: বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'পর্যবেক্ষণ এইভাবে কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি' যুক্তরাজ্যে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হল গ্রামীণ ফাউন্ডেশন আম্পায়ারিং বিতর্ক: 'ঘরোয়া ক্রিকেটের বাধা দূর না হলে প্রভাব পড়বেই'
ইন্দোনেশিয়ায় সুন্দা প্রণালীর উপকূলবর্তী শহরগুলোতে যে বিধ্বংসী সুনামি রাতের বেলা আঘাত হেনেছে কর্মকর্তারা বলছেন এর কারণ খুব সম্ভবত আনাক ক্র্যাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পর সমুদ্রের তলদেশের ভূমিধস।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রোহিঙ্গাদের একটি দল বাংলাদেশ ছেড়ে যাবার আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দলটি আবারো বলেছে, রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান হবে না। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা পরিষদে কুয়েতের প্রতিনিধি মানসুর আয়াত আল-ওতাইবি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট এভাবে চলতে পারে না। তবে একই সাথে তিনি বলেছেন যে এ সঙ্কট খুব সহজে ও দ্রুত সমাধান হবে না। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার বিষয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার যে চুক্তি করেছে সেটি বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছেন কুয়েতের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, "আমরা মিয়ানমার সরকার এবং শরণার্থীদের এ বার্তা দিতে চাই যে এ সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আমরা ওয়াদাবদ্ধ। আমরা মনে করছি না যে এ সঙ্কট খুব সহজে এবং দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব সঙ্কট সমাধানের জন্য এখানে সকল পক্ষকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না।" সংবাদ সম্মেলনে কুয়েতের প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি পেরুর প্রতিনিধি গুস্তাবো আদোলফো মেজা কাদরা এবং জাতিসংঘে ব্রিটেনের স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যারেন পিয়ার্স। নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে অতিমাত্রায় আশাবাদী না হতে বলেছেন কুয়েতে রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে তাদের দুর্দশার কথা শুনছেন। কুয়েতের প্রতিনিধি বলেন, "নিরাপত্তা পরিষদ কী করতে পারে সে বিষয়ে আমরা প্রত্যাশা বাড়াতে চাই না। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য আমরা সব পক্ষকে সহায়তা করতে চাই। আমরা এ সঙ্কটের একটা সমাধান দেখতে চাই। কিন্তু সমাধান দ্রুত আসবে না। এর জন্য সময় লাগবে। এটি আমাদের এজেন্ডায় থাকবে এবং আমরা এটিকে প্রাধান্য দিচ্ছি।" জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল আগেই বলেছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর যেভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে সেটি জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার শামিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এখনই সে ধরনের উপসংহারে পৌঁছাতে রাজী নন। জাতিসংঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স বলেন, "সেটি নির্ধারণ করার জন্য একটি যথাযথ বিচারিক এবং আধা-বিচারিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সেটার জন্য আইনের আলোকে যথাযথ তথ্য-প্রমাণ লাগবে। আইনের দৃষ্টিতে সেটি গ্রহণযোগ্য হতে হবে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সে কাজ করে না। তারা তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে এবং সেটি পর্যালোচনা করে। কিন্তু সেটি আইনের দৃষ্টিতে নির্ধারিত হয় না।" "মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তদন্ত করছে। আমরা মনে করতে পারি যে অনেক দেরিতে হলেও কিছু একটা করছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা কথা বলতে চাই। এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য তারা কী করছে সেটা আমরা দেখতে চাই," বলেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের চীন এবং রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। এ কথা সবার জানা। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলন। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে নিরাপত্তা পরিষদের দলটি যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন সেখানেও তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চীন, রাশিয়া এবং ভারতের জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানিয়েছেন। চীন এবং রাশিয়া যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ আদৌ কিছু করতে পারবে? এমন প্রশ্নে জাতিসংঘে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "চীন এবং রাশিয়ার দিক থেকে আমি কোন প্রতিবন্ধকতা দেখি না। তারা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। তারাও আমাদের সাথে আছে। তারাও এ সঙ্কটের সমাধান দেখতে চায়।" এ সফর থেকে বাংলাদেশ কী আশা করতে পারে? নিরাপত্তা পরিষদের দলটির সদস্যরা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের খুব একটা আশাবাদী হবার কারণ দেখা যাচ্ছে না- এমনটাই মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস। নিরাপত্তা পরিষদের দলটি বেশ পরিষ্কার করেই বলেছে যে দ্রুত সমাধানের চাবিকাঠি নেই। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তানি বাস ড্রাইভারের ছেলে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোয়াইট হাউজে ম্যাক্রোঁর গাছটা কোথায় গেল? আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও ঝড়ের পূর্বাভাস বাংলাদেশে বজ্রপাত কখন কোথায় বেশি হচ্ছে? কাবুল হামলায় নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ৮ জন রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর প্রায় আট মাস কেটে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আর কতদিন সময় লাগবে? সে বিষয়ে কিছু বলেনি প্রতিনিধি দলটি। তাছাড়া তাদের তরফ থেকে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, দ্বিপক্ষীয় সমাধানের সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। মিস ফেরদৌস বলেন, "দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যদি কাজ হতো তাহলে তো তারা কিছু-কিছু হলেও ফেরত নিতো। সেটা না করে তারা নাটকীয়ভাবে একটা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে। এটা তো হাস্যকর ব্যাপার। দ্বিপাক্ষিক-ভাবে কোন সমস্যার সমাধান হবে বলে আমার মনে হয় না।" দ্বিতীয় বিষয়টি হলো; জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, রাখাইনে যা ঘটেছে সেটি জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার শামিল। এমনকি, জাতিসংঘ মহাসচিবও সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি বিষয়টিকে সেভাবে দেখছে না। যদি তারা বিষয়টিকে সে দৃষ্টিতে না দেখে তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ কতটা ভূমিকা রাখবে সেটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ক্যাম্প দেখতে গেলে রোঙ্গিারা কিছু প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এম শাহিদুজ্জামান মনে করেন, নিরাপত্তা পরিষদের দলটির বাংলাদেশ সফর সঙ্কট সমাধানে আশা জাগাতে পারে। মি: শাহিদুজ্জামান মনে করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর চীন এবং রাশিয়ার মনোভাব বদলে যেতে পারে। তিনি বলেন, "তারা যখন নিউইয়র্কে ফিরে যাবে তখন হোস্ট গভর্মেন্টকে (নিজ-নিজ দেশের সরকার) তারা বিষয়টি জানাবেন। এরপর তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য হবে।" এই মুহূর্তে খুব বেশি আশাবাদী না হওয়াকে ভালো বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক। তিনি মনে করেন, নিরাপত্তা পরিষদ বাস্তব-ধর্মী অবস্থান নিয়েছে। "তারা আমাদের খুব বেশি আশাবাদী হতে মানা করেছে, এ অবস্থানটা অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক," বলছিলেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। তবে নাসিম ফেরদৌসের সাথে একটি বিষয়ে তিনিও একমত। সেটি হচ্ছে- মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের আর কোন আশা নেই।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি দল বাংলাদেশে দুই দিনের সফর শেষে এখন মিয়ানমারে পৌঁছেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ান নামে এক সংবাদ মাধ্যম করোনাভাইরাস সম্পর্কিত এক তত্ত্ব সম্প্রচার করেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে এর সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জড়িত। যেকোনো বিষয়ে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা বা খোঁচা দেয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার টেলিভিশন অনন্য: যাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকে পশ্চিমা এলিটদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করা। দেশটির প্রধান একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চ্যানেল ওয়ান, ভ্রেমিয়া বা 'সময়' নামে সন্ধ্যায় তাদের মূল সংবাদ অনুষ্ঠানের মধ্যে করোনাভাইরাসের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের একটি আলাদা সময় বা স্লট বরাদ্দ করেছে। যেখানে প্রতিবেদন তৈরির ধারাও বেশ অস্পষ্ট। দেখে মনে হবে যে তারা হয়তো ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ভ্রান্ত ধারণা অপসারণ করছে, কিন্তু দর্শকদের মধ্যে তারা এমন একটি অনুভূতি দেয় যে, এতে হয়তো কিছুটা সত্যও থাকতে পারে। ভ্রেমিয়ায় সম্প্রতি সবচেয়ে অযৌক্তিক যে তত্ত্বটি প্রচার করা হয়েছে তা হলো, করোনাভাইরাসের 'করোনা' শব্দটি নিয়ে। ল্যাটিন এবং রাশিয়ান-দুই ভাষাতেই করোনা শব্দের অর্থ মুকুট, তারা তাদের প্রতিবেদনে বলছে, এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সাথে কোনভাবে জড়িত। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: বিয়ে বাতিল, শ্রেণীকক্ষ খালি, পাল্টে গেছে জীবন 'ঘরের বাইরে যাবেন না', চীনে আরো তিন শহরে নির্দেশ করোনাভাইরাস: চীনে কি পর্যাপ্ত মাস্ক আছে চ্যানেল ওয়ানের কিরিল ক্লেইমিয়নভ ধারণা করে বলেন যে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকার বিষয়টি বাদ দেয়া যায় না। আর এর কারণ হচ্ছে, তিনি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেছেন এবং বিজয়ীদের হাতে মুকুট তুলে দিয়েছেন। মূলত বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের এমন নামকরণ করেছেন এগুলোর মুকুটের মতো আকারের কারণে, কিন্তু ভ্রেমিয়ার উপস্থাপক ট্রাম্পের জড়িত থাকার সম্ভাবনা এখনই বাতিল করে দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, "আপনি হয়তো বলবেন নির্বোধের মতো শোনাচ্ছে, এবং আমি আপনার সাথে একমতই হতাম যদি এটা আমাদের প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে না থাকতো। "জাতিগত বায়ো-ওয়েপন বা জৈবিক মারণাস্ত্র" প্রতিবেদনে সহযোগী যেসব ভিডিও দেখানো হয় তাতে এটা স্বীকার করা হয় যে, মুকুটের এই তত্ত্ব "আজগুবি বা বানোয়াট", কিন্তু একপাক্ষিকভাবে এমন একজন বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া হয় যিনি বলেন যে, চীনের করোনাভাইরাস কৃত্রিমভাবে বানানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিংবা আমেরিকার ওষুধ কোম্পানিগুলো এর জন্য দায়ী। প্রতিবেদনে ক্রেমলিনের মিডিয়া এবং কর্মকর্তাদের ছড়ানো কিছু পুরনো ও মিথ্যা তথ্য আবারো তুলে ধরা হয়। যাতে বলা হয়, জর্জিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরীক্ষাগার রয়েছে যেখানে মানুষের উপর জৈবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। এর পর চ্যানেল ওয়ানের প্রতিবেদক অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থেকে কিছু বক্তব্য তুলে ধরেন যেখানে বলা হয় যে, নতুন করোনাভাইরাস শুধু এশিয়ার মানুষদের আক্রান্ত করে এবং এটা এক ধরণের "জাতিগত বায়ো ওয়েপন বা জৈবিক মারণাস্ত্র।" চ্যানেল ওয়ানের করোনাভাইরাস নিয়ে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে "বায়ো ওয়েপন বা জৈবিক অস্ত্র" তৈরির ভিত্তিহীন অভিযোগ আবারো আনা হয়। তিনি স্বীকার করেন যে, ওই তথ্য ভুল প্রমাণিত করার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন: "যেসব বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে যথেষ্ট সতর্ক থাকেন, তারাও এই সন্দেহকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।" ভ্রেমিয়া পোকাসহেট (সময় বলে দেবে) নামে চ্যানেল ওয়ানের প্রধান রাজনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচুর পরিমাণে থাকে। সংবাদ অনুষ্ঠানের তুলনায় এখনে আরো বেশি খোলাখুলি আলোচনা হয়। তবে মূলভাব থাকে এটাই যে, বিভিন্ন ধরণের পশ্চিমা উপাদান - যেমন ওষুধ কোম্পানি, যুক্তরাষ্ট্র বা এর সংস্থাগুলো কোন না কোন ভাবে ভাইরাস তৈরিতে এবং তা ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করেছে, বা এটা নিয়ে অন্তত আতঙ্ক ছড়াতে সহায়তা করেছে। এর উদ্দেশ্য হিসেবে তাদের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, "বড় বড় ফার্মা বা ওষুধ কোম্পানিগুলো" করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে বড় ধরণের মুনাফা হাতিয়ে নিতে চায়, আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, চীনের মতো ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগীকে দুর্বল করতে এর অর্থনীতিতে আঘাত হানতে চাইছে তারা। কর্মকর্তাদের রক্ত পরীক্ষা টেলিভিশনের স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরালে, বোঝা যায় যে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি করেছে। চীনের সাথে রেল এবং বিমান চলাচল কমিয়ে আনা হয়েছে, এবং চীন থেকে ফেরত নেয়া রুশ নাগরিকদের সাইবেরিয়ার একটি হাসপাতালে দুই সপ্তাহের জন্য কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে মস্কোতে অবস্থিত একটি গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির শীর্ষ পর্যায়েও। রাশিয়ার দৈনিক ভেদোমস্তি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া সবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে, যাকে মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ "সতর্কতামূলক পদক্ষেপ" বলে উল্লেখ করেছেন।
চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কেন্দ্র করে ওয়েব দুনিয়ায় নানা ধরণের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু রাশিয়ায় এ ধরণের তত্ত্ব ও তথ্য প্রাইম টাইম বা মূল সংবাদ অনুষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গুয়াহাটি জ্বলছে: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ। এই আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা রাজধানী গুয়াহাটিতে কারফিউ ভঙ্গ করে দোকানপাট ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে এপর্যন্ত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু লোক। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনেও ভাংচুর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিবিসি সংবাদদাতা জিল ম্যাকগিভারিং। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার লক্ষ্যে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্য সভায় বৃহস্পতিবার এই আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই আসামের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে কাশ্মীরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিটকে আসামে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়ালসহ বেশ ক'জন বিজেপি নেতার বাড়িঘরে হামলা করেছে বলে রয়টার্স বলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য রাজ্যের ১০টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসসহ ভারতের বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল সংসদে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা সিএবি নামে পরিচিত এই বিতর্কিত বিলটির বিরোধিতা করেছে। ভারতের বিভিন্ন মুসলিম দলের নেতারাও বিলটিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আসামে যারা এই বিলের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদের বক্তব্য, এই বিলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসামে আরও বেশি সংখ্যক বাঙালী হিন্দুর আসার পথ খুলে দেয়া হয়েছে। আসামে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অহমীয়া জনগোষ্ঠীর সাথে বাংলাভাষী জনগণের বিরোধ চলছে। সম্পর্কিত খবর: নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয় কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ প্রতিবাদ। অহমীয়াদের প্রতি মোদির আশ্বাস আসাম অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, এই আইনটি নিয়ে আসামের বাসিন্দাদের উদ্বেগের কোন কারণ নেই। ইংরেজি এবং অহমীয়া ভাষায় পাঠানো একের পর এক টুইট-বার্তায় মি. মোদি বলছেন আসাম চুক্তির অনুচ্ছেদ ছয়কে রক্ষা করার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার সম্ভাব্য সবকিছুই করবে। এই চুক্তিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ভূমির অধিকারকে হেফাজত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের নাগরিকত্ব আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেশ করা এক আর্জিতে আইউএমএল বলছে,এই আইনটি ভারত সংবিধানের সাম্য, মৌলিক অধিকার এবং জীবনের অধিকার সংক্রান্ত বিধানগুলোকে ভঙ্গ করছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নিরাপত্তা বাহিনী। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: জামিন হয়নি খালেদা জিয়ার, আবেদন খারিজ বাবার 'বন্ধুরা' ধর্ষণ করতো শিশুটিকে, বাবা পেত টাকা যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে রাতভর বিক্ষোভের পর ঐ রাজ্যে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনশক্তি নেবে জাপান সম্প্রতি জাপানের সাথে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে জাপানে শ্রমের চাহিদা পূরণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের কঠোর অভিবাসন নীতি শিথিল করে পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করা হয়। যেখানে বলা হয় যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক নেয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেয়ার চুক্তি সই হয় দু'দেশের সরকারের মধ্যে। তবে এই চুক্তি অনুযায়ী কি পরিমাণ জনশক্তি বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে সে বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, "কি পরিমাণ শ্রমিক নেবে সেটা নির্ভর করবে আমাদের প্রস্তুতির উপরে। খুব বেশি পরিমাণ এক সাথে নেবে না। আস্তে আস্তে নেবে।" বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও ফিলিপিন্স থেকে জনশক্তি নেবে জাপান। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, নতুন এই চুক্তির আওতায় দক্ষ শ্রমিক হিসেবে জাপানে যেতে হলে কোন ধরণের অর্থ খরচ করতে হবে না। তবে অনুমোদিত সংস্থাগুলো থেকে জাপানি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে কিছু পরিমাণ ফি দিতে হবে। তবে পেশার দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে ভাষা শেখার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে না। পেশাগত দক্ষতা এবং ভাষা শিক্ষা শেষে চূড়ান্ত বাছাই অনুষ্ঠিত হবে জাপান দূতাবাসে। সেখানে তাদের অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে সব ধরণের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসব খাতে জনশক্তি নেয়া হবে মোট ১৪টি খাতে লোক নেবে জাপান। এরমধ্যে কেয়ার গিভার অর্থাৎ যারা হাসপাতালে নার্স বা প্রবীণ নিবাসে সেবা দান করবেন এমন দক্ষ জনশক্তি প্রাধান্য পাবে। রৌনক জাহান বলেন, জাপানে কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য বড় খাত উন্মোচিত হচ্ছে। কারণ এ খাতে বিভিন্ন ধরণের উপখাত রয়েছে যেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিয়োগ পেতে পারে। এ দুটি খাত ছাড়াও কৃষি শ্রমিক, পরিচ্ছন্ন কর্মী, যন্ত্রাংশ তৈরির কারাখানা, ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, জাহাজ শিল্প এবং গাড়ি নির্মান খাতসহ মোট ১৪টি খাতে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কৃষি এবং নির্মাণ খাতের জন্য বিদেশি কর্মী নেবে জাপান ভাষা শিক্ষা জাপানে যেতে হলে জাপানি ভাষা জানতে হবে। এজন্য জাপানি ভাষার এন ফোর লেভেল পর্যন্ত জানতে হবে। জাপানি ভাষায় এন ফাইভ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়। এর পরের ধাপ হচ্ছে এন ফোর লেভেল। অর্থাৎ জাপানি ভাষায় বলতে, লিখতে ও পড়তে জানতে হবে। জাপানে যেতে হলে জাপানি ভাষা জানার সর্বনিম্ন স্ট্যান্ডার্ড এটি। এর পরে এন থ্রি বা এন টু জানলে সেটাকে অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে ধরা হবে। এছাড়া জাপানে যাওয়ার পরও নিয়মিত ভাষার বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকবে। জাপানি ভাষা শেখার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশে ২৭টি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। ভাষা শিক্ষার সার্টিফিকেট পেতে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। পেশাগত দক্ষতা উল্লেখিত খাতে দক্ষ শ্রমিকরাই কেবল জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। জাপানে যেতে হলে প্রথমেই দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে। দক্ষতায় টিকে গেলে শুরু হবে ভাষা শেখা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যারা এরইমধ্যে বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন এবং যাদের পেশাগত কাজের সার্টিফিকেট রয়েছে তারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গণ্য হবেন। তবে যাদের দক্ষতা রয়েছে কিন্তু সার্টিফিকেট নেই তারা পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন। এছাড়া সরকার অনুমোদিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া নার্সিং ইন্সটিটিউটগুলোতে সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন এবং সার্টিফিকেট রয়েছে তারা যেতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যাবে। জাপানে কর্মী সংকট চলছে বহু বছর ধরে শারীরিক যোগ্যতা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে জাপানে যেতে হলে বয়স কোনভাবেই ৩২ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে কোন ধরণের রোগ রয়েছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া চারিত্রিক সনদ অর্থাৎ কোন আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। আবেদনের পদ্ধতি প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকলে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাপানে শ্রমিক পাঠিয়ে থাকে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি। এছাড়া জাপান সরকারের সাথে হওয়া নতুন জনশক্তি রপ্তানি চুক্তির আওতায় এরইমধ্যে ১১টি সংস্থাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন মি.আলম। এসব সংস্থার যোগ্যতা হলো বাংলাদেশ ছাড়াও জাপানে তাদের অফিস রয়েছে। এদের অনেকেই এরই মধ্যে ভাষা শেখানোর কার্যক্রম শুরু করেছে বলেও জানান মি. আলম। মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, "রিক্রুটিং এজেন্সি হিসেবে যেসব সংস্থাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট গাউডলাইন আছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করবো।" সম্ভাব্য আয় সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাপানে যাওয়ার পর ভালো বেতনে কাজের সুযোগ রয়েছে বলে জানান মি. আলম। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন নির্ভর করবে কোন শ্রমিক কোন ধরণের কাজে নিয়োগ পাচ্ছে তার উপর। তবে এক জন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে জাপানে যাওয়ার পর কাজের ধরণ ভেদে প্রতি মাসে বাংলাদেশী মুদ্রায় দেড় থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
কোন ধরণের খরচ ছাড়াই দক্ষ শ্রমিক হিসেবে জাপানে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশীদের জন্য।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছে বাসগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। "ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আজ যেসব রোহিঙ্গা পরিবার যাত্রা করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকে কিছুটা দোটানায় থাকলেও ভাসানচরের ছবি, ভিডিও দেখে মত পরিবর্তন করে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন", বলেন ঐ কর্মকর্তা। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য অপেক্ষারত বাস। কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দিনেই দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের সরকারের উচিত একটি স্বচ্ছ স্থানান্তর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শরণার্থীদের বুঝে-শুনে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং দ্বীপটিতে যাওয়া-আসার অনুমতি সাপেক্ষে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সেই সাথে জাতিসংঘের আহ্বান অনুযায়ী একটি স্বাধীন কারিগরি এবং সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়ন পরিচালনা করা উচিত। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে যে, ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে এমন অন্তত ১২টি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন তারা। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় স্থানান্তর হতে চান না বলে মানবাধিকার সংস্থাটিকে জানিয়েছেন। এই তালিকায় থাকা কিছু শরণার্থী জোর করে স্থানান্তরিত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি। এর আগে ২রা ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে জাতিসংঘ অবগত থাকলেও শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রস্তুতি কিংবা তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি। ডিসেম্বর মাসেই আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ সরকারের।
কক্সবাজারের কয়েকটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা একজন কর্মকর্তা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভারতের বিভিন্ন শহরে রোববার মানুষ তাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসাকর্মীদের সম্মানে হাততালি দিয়েছে। কিন্তু এই উদ্বেগপূর্ণ সময়ের মধ্যে মানুষ আশার আলোও দেখার চেষ্টা করছেন নানা খবরের মধ্যে। ১. দূষণ কমছে করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে লকডাউন অবস্থা জারি করার ফলে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। চীন এবং উত্তর ইতালিতে গাড়ি চলাচল ও কলকারখানার কাজ কমে যাওয়ায় বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান যা উষ্ণায়ন ঘটায় তার মাত্রা ব্যাপক হারে কমে গেছে। নিউ ইয়র্কেও গবেষকরা বিবিসিকে বলেছেন প্রাথমিক গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মূলত গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে বিমান সংস্থাগুলো গণহারে বিমান চলাচল বাতিল করে দেয়ায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর থেকে কাজ করার কারণে বিশ্বজুড়ে দূষণের মাত্রা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২. খাল পরিষ্কার হচ্ছে একইভাবে, ইতালিতে ভেনিস শহরের বাসিন্দারা বলছেন ওই শহরের মধ্যে দিয়ে যে বিখ্যাত খাল বয়ে গেছে, যে খালের শাখাপ্রশাখার ওপর গোটা ভেনিস শহর দাঁড়িয়ে, সেই খালের পানির মানে ব্যাপক উন্নতি দেখছেন তারা। খালের পানি এখন অনেক পরিষ্কার। উত্তর ইতালির যেসব রাস্তার উপরে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণগুলো অবস্থিত, সেগুলো এখন করোনা উৎকণ্ঠার কারণে জনশূণ্য। ভেনিসে যেহেতু খালই যাতায়াতের পথ তাই খালের ব্যবহার উল্লেখেযোগ্য হারে কমে গেছে। ফলে পানির ভাসমান কণাগুলো নিচে থিতিয়ে পড়ে পানি পরিষ্কার হয়ে গেছে। সাধারণত খালের পানি সেখানে খুবই ঘোলা থাকে। এখন পানি এতই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ হয়েছে যে এমনকী সেখানে মাছের আনাগোনা চোখে দেখা যাচ্ছে। ভেনিসে খালের পানি লকডাউনের পর আশ্চর্যরকম পরিস্কার হয়ে গেছে। ৩. মানুষ সহাযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পাগলের মত বাজার করে মানুষের জিনিস মজুত করার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য মারামারি করার নানা ঘটনা খবর হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর উল্টো দিকে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক মানুষের মধ্যে পরোপকারের যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে, তারা দয়ার হাত বাড়িয়ে দিতেও যে শিখেছে সেসব ঘটনাও খবরে এসেছে। নিউ ইয়র্কে দুই ব্যক্তি ৭২ ঘন্টার মধ্যে ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করেছেন যারা বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে। ব্রিটেনেও বৃদ্ধ ও অসুস্থদের খাবার ও ওষুধ পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে কয়েক হাজার মানুষ। একইধরনের দলবদ্ধ গোষ্ঠিকে দেখা গেছে কানাডায় মানুষের সাহায্যে পথে নামতে। অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনসহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশে বড় বড় বিপনিবিতানে বৃদ্ধ মানুষদের বাজার করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে, যখন তারা ছাড়া আর কেউ বাজার করতে পারবেন না। যাতে তারা ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে শান্তিতে বাজার করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপনি বিতানগুলো এখন শুধু প্রবীণদের কেনাকেটার জন্য বাজারে আলাদা এক ঘন্টা সময় আলাদা করে দিয়েছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠির জন্য অর্থ সাহায্য করা, তাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের ব্যাপারে নানা উপদেশ পরামর্শ ও সাহায্য দেয়া এবং যারা পরিবারের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অর্থাৎ আইসোলেশনে দিন কাটাচ্ছেন তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য পৃথিবীর নানা দেশে নানাধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অনেক দোকানপাটে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবার পর সেগুলো খাদ্য বন্টনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ৪. সবাই একই নৌকায় সচরাচর কর্মস্থল আর দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছিল। নিজের পরিবারের ভালমন্দের বাইরে ভাবার কারও সময় ছিল না। এখন এই করোনাভাইরাসের ছোবল সবার ওপর এসে পড়ায় সবার মনেই কাজ করছে একইধরনের উদ্বেগ, একইধরনের ভয়। সারা বিশ্বের সব মানুষের সামনে এখন একটাই সমস্যা- একটাই উদ্বেগ- আমার সামনে কী? আর এই একই শত্রু সবাইকে সমান তারে বেঁধে দিয়েছে। ইতালিতে গোটা দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে, যখন শ'য়ে শ'য়ে মানুষ প্রতিদিন ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছেন, যখন মানুষের আর কোথাও যাবার নেই, তখন সেখানে বাড়ির বারান্দায় বারান্দায় শোনা যাচ্ছে নিজেদের উদ্দীপ্ত করার জন্য মানুষ গান গাইছেন। করোনাভাইরাস: মানুষের মনোবল চাঙ্গা করতে, মন খুশি রাখতে ইতালিয়রা গানবাজনার পথ নিয়েছেন। দক্ষিণ স্পেনে একজন শরীরচর্চ্চাা বিষয়ক শিক্ষক একটি অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ির মাঝামাঝি নিচু একটি ছাদ থেকে ব্যায়াম শেখানোর ক্লাস শুরু করেছেন, যাতে ওই বহুতল ভবন কমপ্লেক্সে যারা নিজেদের আইসোলেট করে রেখেছেন, তারা তাদের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ওই ক্লাসে যোগ দিতে পারেন। বহু মানুষ তাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলছেন- ফোন করে, বা ভিডিওর মাধ্যমে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি, কারণ অনেকের হাতে এখন অফুরন্ত সময়। অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে গড়ে তুলেছেন ক্লাবঘর, সেখানে ফোনের মাধ্যমে চলছে তাদের ভার্চুয়াল আড্ডা। শিবচরের এক প্রবাসী যেভাবে ছয়জনকে সংক্রমিত করেন করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না দ্রুত ফুরিয়ে আসছে চিকিৎসা সামগ্রী, নিউ ইয়র্কে মারাত্মক পরিস্থিতির আশঙ্কা করোনাভাইরাস মানুষের সঙ্গে মানুষের নতুন যোগাযোগের সূত্রই শুধু গড়ে তোলেনি, যেসব ডাক্তার, নার্স, ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন যারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছেন, মানুষ তাদের কাজকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে। ইউরোপের নানা দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই বাড়ির বারান্দায়, ঘরের জানালায় সমবেত হয়ে তাদের করতালি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ৫. সৃজনশীলতার নতুন জোয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়ার পর অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল হবার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ তাদের শখের খবর শেয়ার করছে। যেমন বই পড়া, কেক পাউরুটি বেক করা, উল বোনা, ছবি আঁকা। একইধরনের শখ যাদের আছে তারা সেসব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন। অনলাইনে বই পড়ার ক্লাব খুলেছে কেউ, ইনস্টাগ্রামে রান্না শেখানোর নানা আয়োজন চোখে পড়ছে। ঘরে আটকে আছে যারা, তারা নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করে নিজেদের সময় কাটাচ্ছে। করোনাভাইরাস লকডাউনে শিশুদের ব্যস্ত রাখার জন্য বাবামায়েদের সাহায্য করতে তৈরি হয়েছে ফেসবুক গ্রুপ। আমেরিকার টেনেসিতে একজন চারুকলার শিক্ষক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে সৃজনশীল নানা কাজ শেখানোর ক্লাস করছেন। ইউরোপের বেশ কিছু বিখ্যাত আর্ট গ্যালারি চিত্রকলা অনুরাগীদের জন্য বড় বড় চিত্রকলা যাদুঘরের ছবি দেখার জন্য অনলাইনে ভার্চুয়াল ট্যুর-এর ব্যবস্থা করেছে। কাজেই আপনি যদি চিত্রকলার সমঝদার হন, ঘরে বসেই অনলাইনে ঘুরে দেখতে পারবেন প্যারিসের লুভ যাদুঘর বা ভাটিকানের স্থাপত্যকর্ম। সিডনির তারাঘর বা অবজারভেটরিও, যারা ঘরে আইসোলেশনে আটকে আছেন, তাদের জন্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইনে রাতের তারাভরা আকাশ দেখার ব্যবস্থা।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহতা নিয়ে মানুষ এখন দিন কাটাচ্ছে আতঙ্কে। সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুর হারও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিভিন্ন দেশে ছোটবড় অনেক শহর অবরুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে। বহু মানুষকে জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভারত-চীন সীমান্তে একজন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী টহল দিচ্ছে (ফাইল ফটো) চীনের সেনারা 'পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে' বলে জানিয়েছেন একজন সামরিক মুখপাত্র। কিন্তু সেসব ব্যবস্থা কি, তা জানানো হয়নি। গত ৪৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম ওই এলাকায় গুলি ছোঁড়া হলো। সেটা হলে দুই দেশের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার সমঝোতা রয়েছে, সেটার লঙ্ঘন হবে। সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অনেক অবনতি হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল ঝ্যাং শুইলিকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় সৈন্যরা 'বেআইনিভাবে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) অতিক্রম করে শেনপাও পাহাড়ি এলাকায়. প্যানগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে প্রবেশ করেছে।' ভারতের এই পদক্ষেপ 'দুই পক্ষের সমঝোতার গুরুতর লঙ্ঘন, ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে...যা সেখানকার প্রকৃতির জন্য খুবই ক্ষতিকর', বলছেন কর্নেল ঝ্যাং। তবে ভারতের তরফ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্‌ দেশ কার পক্ষ নেবে 'ভারত-চীনের সীমান্ত পুরোটাই মায়া, এলএসি আছে অন্তত চারটে' প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জন্য পরষ্পরকে দুষছে ভারত ও চীন চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের পেছনে যেসব কারণ প্যানগং লেক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে চীন ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালের একটি সমঝোতা অনুযায়ী, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে কোন দেশই আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক বহন করবে না। তবে সৈনিকদের মধ্যে অতীতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র আরও দাবি করেছেন, ভারতের উচিত 'অতিসত্বর তাদের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা, যারা এলওসি অতিক্রম করেছে, তাদের সরিয়ে নেয়া....আর যারা উস্কানিমূলক গুলি করেছে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।' বিতর্কিত সীমান্ত এলাকার কাছ থেকে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে, এরকম খবরে চীনের কর্মকর্তাদের ভারত সতর্ক করার একদিন পরেই এই উত্তেজনার পরিস্থিতির তৈরি হলো। জুন মাস থেকে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে যখন লাদাখ অঞ্চলে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত অগাস্ট মাসে ভারত অভিযোগ করে যে, সপ্তাহে দুইবার করে সীমান্ত এলাকায় সামরিক উত্তেজনা তৈরি করছে চীন। উভয় অভিযোগই অস্বীকার করে চীন দাবি করেছে, সীমান্ত অস্থিরতার জন্য ভারত দায়ী। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল সুনির্দিষ্ট করা নেই। ওই এলাকায় থাকা নদী, হৃদ, বরফের কারণে সীমান্ত রেখা পরিবর্তিত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সৈন্যের দুই দেশ- অনেকবারই একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে ভারত অভিযোগ করেছে যে, লাদাখ গালওয়ান উপত্যকায় চীন হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এবং তাদের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে। সীমান্ত বিরোধ অবসানে গত তিন দশকে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে দুই দেশ মাত্র একবারই, ১৯৬২ সালে যুদ্ধে জড়িয়েছিল, যেখানে ভারতের বড় ধরণের পরাজয় হয়েছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী ? জামাল খাসোগজিকে হত্যায় অভিযুক্তদের সাজা বদলে দিল সৌদি আদালত অগ্নিদগ্ধ হলে সাথে সাথে যে পাঁচটি কাজ করা জরুরি যেখানে সেখানে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন
চীন অভিযোগ করেছে, ভারতের সৈন্যরা অবৈধভাবে বিতর্কিত সীমানা পার হয়ে তাদের টহলরত সৈন্যদের ওপর 'উস্কানিমূলক' গুলি করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কোন সমস্যা নেই। পুরো বিষয়টি সংক্ষেপে বুঝতে পারবেন এখানে। ব্রেক্সিট কী? 'ব্রিটিশ এক্সিট' নামটিকে সংক্ষেপে ডাকা হচ্ছে ব্রেক্সিট নামে। এটি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী? ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হচ্ছে ২৮টি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট। এই জোটের সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে, এসব দেশের নাগরিকরা জোটভুক্ত যেকোন দেশে গিয়ে থাকতে ও কাজ করতে পারেন। (সদস্যদেশগুলোর নামের তালিকা এখানে দেখতে পারেন) ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য ইইউতে যোগ দেয়। তখন এটির নাম ছিল - ইইসি ( ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কম্যুনিটি)। ইইউ ছাড়ছে কেনযুক্তরাজ্য? ৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩শে জুন একটি গণভোট নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। সেখানে সেদেশের নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল - যুক্তরাজ্যের কি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকা উচিত নাকি উচিত না? ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে,আর থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেই ভোটের ফলাফলের সাথে সাথেই ব্রেক্সিট হয়ে যায়নি। এই বিচ্ছেদ ঘটবে আগামী ২৯শে মার্চ। আরো পড়ুন: ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর ব্রেক্সিট: যে সাতটি পথে হাঁটতে পারে ব্রিটেন কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন এখন পর্যন্ত কী ঘটেছে? ২০১৬ সালে সবেমাত্র শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। এরপর থেকে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা চলছে। আলোচনা মূলত এই 'ডিভোর্স' চুক্তিটি নিয়েই। আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে - ঠিক কী উপায়ে যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বের হবে; ছাড়ার পর কী হবে সেটি নয়। এই চুক্তিটি 'প্রত্যাহার চুক্তি' নামে পরিচিত। প্রত্যাহার চুক্তি কী বলছে? প্রত্যাহার চুক্তির মূল বিষয়গুলো: যুক্তরাজ্য এবং ইইউকে একটি নির্দিষ্ট 'অন্তবর্তীকালীন সময়' দেওয়া হয়েছে যেন তারা একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে এবং নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বুঝে নিতে পারে। এর মানে হলো - যদি প্রত্যাহার চুক্তি সবুজ সংকেত পায়, তাহলে ২৯শে মার্চ, ২০১৯ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০এর মধ্যে তেমন কোন বড় পরিবর্তন হবে না। এছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হতে পারে - সে বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঘোষণার উল্লেখ রয়েছে এই চুক্তিতে। তবে দু'পক্ষেকে সেসব যে পুরোপুরি মানতে হবে - তা নয়। এটি হলো ভবিষ্যতে আলোচনার সুযোগের একটি চেষ্টা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এই চুক্তিতে একমত হয়েছে। তবে তা কার্যকর করতে হলে ব্রিটিশ এমপিদেরও একমত হতে হবে। এখন পর্যন্ত তারা এই চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রত্যাহার চুক্তিতে এমপিরা কীভাবে ভোট দিয়েছেন? এখন পর্যন্ত তারা দুই বার ভোট দিয়েছেন। প্রথমবার ১৫ই জানুয়ারিতে, প্রধানমন্ত্রী মে ২৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। পরে টেরিজা মে ইইউ'র সাথে দেন-দরবার করে আরো কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলেও ১২ই মার্চ এমপিরা আবারো এই চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন। এবারের ব্যবধান দাঁড়ায় - ৩৯১ এবং ২৪২ ভোট। এখন কী ঘটছে? এমপিরা আবারো ১৩ই মার্চ (আজকে) বুধবার ভোট দিবেন যে তারা কি কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট ছাড়তে চান কি-না। মনে করা হচ্ছে - তারা এবারো 'না' বলবেন। যদি এমপিরা না বলেন, তবে টেরিজা মে ১৪ই মার্চ এমপিদের কাছে জানতে চাইবেন - ইইউ থেকে বের হওয়ার তারিখ ২৯শে মার্চ থেকে আর পেছানো যায় কি-না। মিজ. মে বলেছেন, এ বিষয়টি জুনের শেষ নাগাদ নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আর তখন বিষয়টি একবারের জন্যই হবে। তখন ইইউকে অবশ্যই এই বিলম্ব মেনে নিতে হবে। কিন্তু ২৩শে মে শুরু হওয়া ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচনে যুক্তরাজ্য অংশ না নিলে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইইউ। জনগণ কেন এই বিলটির বিরোধিতা করছে? বিলটি নিয়ে বিরোধিতাকারীদের নানা ধরনের অভিযোগ আছে। অনেকেই দাবি করেন, বিলটি যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইইউ-এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করার মতো সুযোগ দেয়নি। তাছাড়া আরেকটি বড় আপত্তির জায়গা হলো আইরিশ সীমান্তে আসলে কী হবে - তা নিয়ে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য দু'পক্ষই এ বিষয়ে আরেকটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা চুক্তিতে উল্লেখ করেছে।এটি হলো ব্যাকস্টপ। ব্যাকস্টপ কী? ব্রেক্সিট সমঝোতায় যাই আসুক না কেন আয়ারল্যান্ড দ্বীপে একটি মুক্ত সীমান্ত রাখার সর্বশেষ চেষ্টা বোঝাতে 'ব্যাকস্টপ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটা হলো এমন ব্যবস্থা যেখানে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশ ছাড়া শুধুমাত্র নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে খাদ্যদ্রব্যসহ বেশ কিছু বিষয়ে ইইউ-এর নিয়ম বলবৎ থাকবে। প্রধামন্ত্রী টেরিজা মে বলছেন - যদি পরিকল্পনামাফিক সবকিছু হয়, এটা কোন তেমন কাজে আসবে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত কয়েকজন এমপি। তাদের যুক্তি, ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর আইনের কাঠামোর মধ্যেই থেকে যাচ্ছে, এটা হতে পারে না। আবার অনেকে ইইউ-এর কাছাকাছি বা ভেতরেও থাকতে চাইছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে যুক্তরাজ্যে অন্যান্য অংশ থেকে ভিন্নভাবে দেখা উচিত নয়। স্ট্রাসবুর্গে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইয়ংকার এবং প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ২৯শে মার্চ যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বের হচ্ছে? আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ১১টায় যুক্তরাজ্য বের হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে ঐদিন কী হবে। এই তারিখ আবার পেছাতেও পারে। আগেই যেমন বলা হয়েছে যে তারিখ পেছানো নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে। যদি তারা তারিখ পেছাতে না চায় - কখন কী হবে? মিজ. মে বলেছেন, যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তারা তা তারিখ পিছিয়ে লাভ হবে না। এমনকি ইউরোপীয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস বলেছে যে কোন ধরনের সম্মতি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট থেকে বের হয়ে আসতে পার্ কিন্তু মিজ. মে বলেছেন, তিনি সেটা করবেন না। চুক্তি ছাড়া বের হলে যুক্তরাজ্য কী করবে? চুক্তিহীন থাকার অর্থ হচ্ছে যুক্তরাজ্য একটি প্রত্যাহার চুক্তিতে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, ২৯শে মার্চের পর যুক্তরাজ্য অর্ন্তবর্তীকালীন কোন সময় পাবে না এবং যুক্তরাজ্যে সমস্ত ইইউ আইন অকার্যকর হয়ে যাবে। সরকার এই পরিস্থির জন্য 'প্রস্তুতি নিচ্ছে' বলে জানিয়েছে। সরকার ধারণা করছে - এর ফলে কিছু খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়তে পারে এবং কাস্টমস-এর চেকিং এর জন্য হাজার হাজার পাউন্ড খরচ হতে পারে। তবে পোষা প্রাণী, পাসপোর্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহসহ - সব বিষয়ে একটি বিস্তর নীতিমালা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে একটির পর একটি আপডেট নিয়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে?
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জেইড একটি চার্চে কাজ করেন। তাদের কজনের গল্প এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো। শ্যানেন: আমি নার্স হতে চাই। এজন্য আমার প্রশিক্ষণ, আর সে লক্ষ্যেই আমি টাকা জমাচ্ছি। কিন্তু এখন আমি একটি নাইটক্লাবে খাদ্য পরিবেশনের কাজ করি। আমার সবসময়েই 'বার' এর কাজ পছন্দ, সেখানকার পরিবশেও আমার ভালো লাগে। এখানে যে উচ্চস্বরে গান বাজে, তার প্রতিটি ছন্দ আমি উপভোগ করি। নোংরা মনের কিছু পুরুষ আসে মাঝেমধ্যে, তাদের উপেক্ষা করে চলতে হয়। আর যদি সে নিতান্তই বাজে লোক হয়, আমি তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেই। সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত আমি কাজ করি। একটা সময় ছিল যখন এখানে কোনো মেয়েই কাজ করতো না। শুধু পুরুষেরা কাজ করতো। কিন্তু এখন এ পেশায় অনেক মেয়ে কাজ করতে আসছে। আমরা একটা পরিবারের মতো কাজ করি। বেলফাস্টের পরিবেশ মনে হয় অন্য অনেক জায়গা থেকে আলাদা, কারণ এখানে ধর্ম (ক্যাথলিক ও প্রটেস্টেন্ট) নিয়ে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি চলে। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আপনি যেতে পারবেন না। আমিও সেভাবেই চলতাম। শ্যানেন একটি নাইটক্লাবের ওয়েট্রেস। জেইড: একটি সুপার-চার্চের যুবকর্মী আমি। প্রায় একহাজার মানুষ নিয়ে আমাদের প্রার্থনা হয়। এই চার্চে ব্যায়ামাগার ও ক্যাফে আছে, শিশুদের খেলার জায়গা আছে। একটা কলেজও আছে। আমরা আমাদের ধর্মপ্রাণ মানুষ বলি না। এটা আসলে যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিষয়। ১৯ বছর বয়সে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করি। এর আগে চার্চ সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল যে এখানে আসতে হলে আমাকে একরকমভাবে ভাবতে একটা নির্দিষ্ট চিন্তাচেতনার মধ্যেই আবদ্ধ থাকতে হবে। আমি কখনো চার্চে প্রবেশও করিনি। যখন তরুণদের সাথে কাজ করতাম আমি বাইরে ঘুরতাম, পার্টি করতাম, মদ পান করতাম। আমি 'জাজমেন্টাল' ছিলাম না। কিন্তু যখন মনে হলো ঈশ্বরকে মেনে চলবো, তখন পার্টি ও মদ সবকিছু ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেই। এর আগে কিন্তু সবসময় মনে হতো- আমার জীবনে কী যেন নেই! এখানে এসে আমি দেখলাম "ঈশ্বরের সঙ্গে থাকাটাওতো অনেক আনন্দের"। অনেক ঐতিহ্যবাহী চার্চ আছে যারা নারীদের ধর্ম সম্পর্কিত শিক্ষা প্রদান করতে দেয়না। কিন্তু এখানে আমি প্রতি শুক্রবার এই কাজটা করতে পারি। চার্চে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করাটাও অনেক বড় বিষয়। কিন্তু এখন পরিবেশ ততটা খারাপ নয় যতটা বছরখানেক আগেও ছিল। খুব অদ্ভুত লাগতো। এই এলাকা আসলে বৈচিত্রতায় ভরা। আমার মা একজন প্রটেস্টেন্ট আর বাবা ক্যাথলিক। সুতরাং আমরা দুই গোত্র একত্রিত বলতে পারেন। জেনা 'আমি একজন নাস্তিক, কিন্তু আমার পরিবার এটাকে খারাপ চোখে দেখে না"। লুসি ও জেনা: বেলফাস্ট যেন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠে সেই চেষ্টা গত দেড় দশক ধরে করছে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি কথা বলেছে দুজন বন্ধুর সঙ্গে। লুসি বলছিলেন "আমার মাথায় চুল নেই বলে অনেকে খুব অবাক হয়। নারীদের যেমন দেখতে হওয়া উচিত তেমনতো আমি নই। আমি কিন্তু মদ বা ড্রাগ নেই না। আর আমি ধর্মও মেনে চলি। মূল ভূখণ্ড থেকে আমরা কিন্তু দশ বছর পিছিয়ে আছি। সত্তর ও আশির দশক ছিল শিল্প ও সংস্কৃতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। কিন্তু আমরা ছিলাম যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। আপনার শহরেই যদি অভ্যুত্থান ঘটে তাহলে কি শিল্প নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে?" "এখন এ চেষ্টা করা বৃথা। কারণ ৩৫ বছরের বয়সীরা এখানে অনেক নীচু মানসিকতার"। অন্যদিকে জেনা বলছেন যে তিনি একজন নাস্তিক। "আমার পরিবার কিন্তু প্রটেস্টেন্ট কিন্তু আমার সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা আছে। এখানকার নারীরা অনেক ট্রাডিশনাল। পুরুষেরা 'সুন্দরী নারীদের' পছন্দ করে, যাদের নখ থাকবে চুল থাকবে বড়, গায়ের রঙটাও হবে আকর্ষণীয়"। "লুসি ও আমি পুরোপুরি বিপরীত। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু।আমি এমন কাজ করি যা সে কখনো করবে না, কিন্তু এ নিয়ে সে আমাকে কখনো বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবে না"। লুসি 'একজন মেয়ের মাথায় চুল নেই, এটা বেলফাস্টের অনেকে মানতে পারে না, তারা চুল-নখওয়ালা সুন্দরী নারী পছন্দ করে'। লরা: তরুণীদের ওপর অনেক চাপ আছে এখানে। এখানে যে 'বিউটি কুইন ইন্ডাস্ট্রি' গড়ে উঠেছে তা আপনাকে মনোকষ্টের মধ্যে ফেলবে যে আপনার চারপাশেতো সুন্দরীদের বসবাস! আপনি যখন মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া দেখবেন, বা কোনো টিভি শো যেমন মেইড ইন চেলসি ধরনের কিছু, আপনার মনে হবে দারুণ বাস্তব জিনিসতো। কিন্তু আসলে বাস্তবে এমনটা নয়। আমি নারীবাদী, সমতায় বিশ্বাস করি। আমি স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট হতে চাই। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি হ্যাকারদের এবারের টার্গেট বড় বড় জাহাজ কোম্পানি বাড়িতে শৌচাগার বানাননি স্বামী, তাই ডিভোর্স মঞ্জুর শনা 'ওয়েট্রেসের কাজ করি। কিন্তু পার্ট টাইম চাকরি। ওয়াল্ড অব আউলসে ভলান্টিয়ার কাজও করি, যেখানে আমার প্রেমিকের সাথে পরিচয় হয়। কাজ আর ঘুম ছাড়া আর কিছু ভালো লাগে না। আমি ইউনিভার্সিটি যেতে চাই না"।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্টের কজন নারী তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, শিক্ষা জীবন পার হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশের যে অভিজ্ঞতা বিবিসির সঙ্গে সে গল্প করেছেন তাঁরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক সালমা খাতুন ২০০৪ সালের মার্চ মাসে রেলওয়েতে যোগ দেন সালমা খাতুন। তিনি এখন ঢাকা বিভাগে কর্মরত আছেন। রেলের জটিল সব যন্ত্রপাতি এখন তাঁর জীবনের অংশ। সালমা খাতুন গত কয়েক বছর যাবত সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে ট্রেন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানমালার 'শত নারী'তে তিনি বলেছেন কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে তাঁকে কাজ করতে হয়। "কাজ করতে গিয়েতা সমস্যা আছে, এটা এমন এক পেশা যেটা মূলত পুরুষদের জন্যই ধরা হয়। আর এতটাই চ্যালেঞ্জিং যে পুরুষরাই হিমশিম খায়। সেখানে নারী হিসেবে আমিতো সমস্যায় পড়বোই, সমস্যা নিয়ে চলছি"। ভাইয়ের উৎসাহেই রেলওয়েতে সহকারী ট্রেনচালকের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন সালমা খাতুন। এর আগে যানবাহন চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর, কাজে যোগ দিয়ে তিনি কাজটা শুরু থেকে করেন। "নারী ট্রেনচালককে সহজে কেউ মেনে নিতে পারে না। একজন ছেলেই এ কাজ ঠিকমতো করতে পারে না, একজন নারী কিভাবে করবে-এমন প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এমনকি যারা আমার সাথে কাজ করে তারাও বলে তুমি কিভাবে পারবা এটা? আর যাত্রীরাতো নারী ট্রেনচালক দেখলে হতাশ হয়ে যায়, হা হয়ে তাকিয়ে থাকে!" ভাইয়ের উৎসাহেই রেলওয়েতে সহকারী ট্রেনচালকের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন সালমা খাতুন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের রেলওয়েতে নারী ট্রেনচালক নিয়োগ দেয়ার পর ধারাবাহিকভাবে পরে আরও তিনবার সার্কুলারের মাধ্যমে নারী ট্রেনচালক নিয়োগ করা হয়েছে। এখন অন্তত ১৫ জন নারী ট্রেনচালক রয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে। এখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ আস্তে আস্তে বাড়ছে বলে মনে করছেন সালমা খাতুন। পরবর্তীতে আরও সার্কুলার হলে আরও মেয়েরা আসবে বলে মনে করেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং পেশায় আনন্দের সঙ্গেই কাজ করেন সালমা খাতুন। কাজের সতর্কতার বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলছিলেন "যারা আমরা ট্রেন চালাই তাদের দুইটা চোখ শুধু থাকলে হবে না। অনেকে বলেন আমাদের চোখ থাকবে বারোটা, কান থাকবে চৌদ্দটা। আর মনটা একদম পরিস্কার থাকতে হবে। আমাদের প্রধান মনোযোগ থাকে সিগন্যালের ওপর, সিগন্যাল ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করেই ট্রেন চালাই আমরা"।
বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক হিসেবে সালমা খাতুন যখন বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন খবরের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিলেন তিনি। কারণ বাংলাদেশে ট্রেনের চালক বা লোকোমোটিভ মাস্টার এমন একটি পেশা যেখানে নারীরা এখনও তেমনভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতি সংঘ নারীর শরীরের ভেতর এধরনের পরীক্ষা চালানোকে মানবাধিকার লংঘন বলে মনে করছে এবং এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন এই পরীক্ষা পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক এবং একজন মেয়ে কুমারী কিনা এই পরীক্ষা তা নিশ্চিত করতে পারে না। এই পরীক্ষা নির্যাতনের একটা হাতিয়ার হিসাবেও ব্যবহার করা হতে পারে। এতে যোনিপথ পরীক্ষা করে দেখা হয় নারীর হাইমেন বা যোনিমুখের সূক্ষ্ম পর্দা অক্ষত আছে কি না। বিবিসির একশ নারী ও নিউজবিট বিভাগের সাংবাদিকরা তাদের অনুসন্ধানে জেনেছেন ব্রিটেনে বেশ কিছু বেসরকারি ক্লিনিক এই ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। তারা "কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার" করার বিজ্ঞাপন দেয় এবং যোগাযোগ করার তারা জানায় তথাকথিত কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ৩০০ পাউন্ডের মধ্যে। গত বছর আমেরিকান র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী টি.আই.এর এক মন্তব্য বিশাল বিতর্কের সৃষ্টি করে, যখন তিনি জানান যে তার মেয়ের হাইমেন অক্ষত আছে কি না তা তিনি প্রতি বছর পরীক্ষা করান। বিবিসি এধরনের ২১টি ক্লিনিক চিহ্ণিত করে। এর মধ্যে ১৬টি ক্লিনিকের সাথে বিবিসির সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে সক্ষম হন, যাদের মধ্যে সাতটি ক্লিনিক নিশ্চিত করে যে তারা "কুমারীত্ব পরীক্ষা" করে থাকে। বাকিগুলো কী করে, তা তারা পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেনি। তবে প্রত্যেকটি চিকিৎসা কেন্দ্র বলেছে তারা ছিঁড়ে যাওয়া হাইমেন ঠিক করে দেবার জন্য অস্ত্রোপচার করবে, যার জন্য খরচ লাগবে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ পাউন্ডের মধ্যে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এনএইচএস ইংল্যান্ডের তথ্য বলছে গত পাঁচ বছরে হাইমেন-মেরামতের জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছে ৬৯টি। নিউজবিট একজন নারীর সাথে কথা বলেছে যিনি তার সমস্যা নিয়ে কর্ম নির্ভানা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এই সংস্থা তথাকথিত পারিবারিক সম্মান রক্ষার কারণে এবং জোরপূর্বক বিয়ে দেবার জন্য নির্যাতনের শিকার নারীদের সাহায্য করে থাকে। "আমার বাবা-মায়ের সাথে আমার সম্পর্কটা ছিল খুবই মানসিকভাবে নির্যাতনের একটা সম্পর্ক। তারা চেয়েছেন আমি তাদের ঠিক করে দেয়া ছেলেকে বিয়ে করব," তিনি বলেন। 'পালানোই আমার একমাত্র উপায়' "একদিন আমাদের সম্প্রদায়ের একজন বয়স্ক বক্তি আমাকে বন্ধুদের সাথে দেখতে পান এবং আমার মাকে গিয়ে বলেন যে এদের মধ্যে একটি ছেলে আমার বয়ফ্রেন্ড। আমাদের পরিচিত মহলে এ নিয়ে নানা কানাঘুষা এবং গুজব চলতে থাকে।" তার বাবামা হুমকি দেন তার কুমারীত্ব পরীক্ষা করানো হবে। "আমার বাবা-মা এবং তারা যে ছেলেটির সাথে আমার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেই ছেলের পরিবার বলে বিয়ের আগে আমাকে কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে হবে।" "আমি ভয় পেয়েছিলাম। আমি তখন বুঝতে পারিনি- সেটার মানে কী। ওরা কী করতে চাইছেন। আমার মনে হল পালানোই আমার একমাত্র উপায়- আমি সেটাই করলাম।" আরও পড়তে পারেন: বিবিসি দেখেছে হাইমেন মেরামতের সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে- দাবি করা হচ্ছে এতে ছেঁড়া হাইমেন ঠিক করা যাবে এবং কুমারীত্ব ফেরানো যাবে। কর্ম নির্ভানা সংঠনের পক্ষে সাহায্য লাইন পরিচালনা করেন প্রিয়া মানোতা। "এ নিয়ে উদ্বিগ্ন মেয়েরা আমাদের ফোন করেছেন। কারোর ক্ষেত্রে তাদের কোন পুরুষ-বন্ধুর সাথে সম্পর্ক আছে, যেকথা পরিবার জেনে ফেলেছে, অথবা কারো ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের দিক দিয়ে সে আর কুমারী নেই। পরিবার হয়ত কুমারীত্ব পরীক্ষা করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এবং কী ফল আসতে পারে সেটা নিয়ে তার চিন্তিত। "কারো যদি প্রেম থাকে, বা কেউ নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চায় অথবা কারো হয়ত কোন ছেলের সাথে যৌন সম্পর্ক আছে, সেসব ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য বা জোর করে বিয়ে দেবার ব্যাপারে এই পরীক্ষা একটা নির্যাতনের হাতিয়ার। আমাদের সংস্থার কাজের সূত্রে আমরা জানি অনেক ঘটনার কীভাবে চরম দুঃখজনক পরিণতি হয়েছে- যেখানে মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার মেয়েদের ত্যাজ্য করে দিয়েছে।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে বিশ্বে অন্তত বিশটি দেশে মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষার চল রয়েছে। হু বলছে, কোন মেয়ে যৌন সম্পর্ক করেছে কি না তা এই পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করা যায় এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এর কারণ হাইমেন নামের এই সূক্ষ্ম ঝিল্লির মত পর্দা নানা কারণে ছিঁড়ে যেতে পারে। ট্যাম্পন ব্যবহারে ছিঁড়তে পারে আবার খেলাধুলা করতে গিয়ে ছিঁড়তে পারে। গত বছর আমেরিকার র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী স্বীকার করেছিলেন তিনি তার মেয়েকে প্রতি বছর কুমারীত্ব পরীক্ষা করান দেখতে যে তার হাইমেন অটুট আছে কি না। তার ওই স্বীকারোক্তিতে তুমুল বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। টু্‌ইজারস (চিমটা) আর ভুয়া রক্ত বিবিসির অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে যে হাইমেন মেরামতের সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ৫০ পাউন্ড মূল্যে। দাবি করা হচ্ছে এতে ছেঁড়া হাইমেন ঠিক করা যাবে এবং কুমারীত্ব ফেরানো যাবে। এধরনের একটি কিট জার্মানিতে বিক্রি করা হয়েছে ১০৪ পাউন্ডে। এর মধ্যে রয়েছে যোনিপথ আঁটোসাঁটো করার উপযোগী ৬০ মিলিলিটার পরিমাণ জেল, প্লাস্টিকের সন্না, রক্ত ভরা একটি ক্যাপসুল এবং তিনটি স্যাশে যার মধ্যে দেখে মনে হচ্ছে ভুয়া রক্ত ভরা আছে। কিন্তু এসব সামগ্রী কীভাবে ব্যবহার করতে হবে কিটে সে বিষয়ে কোন নির্দেশাবলী দেয়া নেই। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আশফাক খান নিয়মিতভাবে কুমারীত্ব পরীক্ষার এবং ছেঁড়া হাইমেন মেরামত করার অনুরোধ পান রোগীদের কাছ থেকে। "এটা যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ কেন করা হয়নি সেটা আমার বোধগম্য নয়। এটা অবৈধ ঘোষণা করা উচিত," তিনি বলছেন। "প্রথমত কোন মেয়ের হাইমেনের অংশবিশেষ যদি না থাকে বা সেটা যদি অক্ষত না থাকে তার মানে সেই মেয়ের কুমারীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে এটা পুরো ভুল। এই পর্দা অনেক কারণে ছিঁড়ে যেতে পারে। এখন আমি যদি বলি 'হ্যাঁ এটা ছিঁড়ে গেছে, আমি মেরামত করে দিয়েছি' এবং এই মর্মে আমি একটা সার্টিফিকেট দিই, তার অর্থ হবে আমি ভুয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছি।" 'মানুষকে শেখাতে হবে' ড. খান মনে করেন এই প্রথার বিরুদ্ধে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। "মেয়েদের খতনার (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন) বিরুদ্ধে যেভাবে জোরেসোরে কথা বলা হয়েছে ঠিক একইভাবে। মেয়েদের খতনার সমস্যা বিশ্ব নেতারা যেভাবে তুলে ধরেছেন, সেই ভাবে," নিউজবিটকে বলেন ড. খান। "আমার মতে এটা আরেকটা অপরাধ। এবং আমরা এখন একটা অপরাধের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করছি যেটা নৈতিকভাবে ভুল।" এবছরের গোড়ার দিকে মিডল ইস্টার্ন উইমেন অ্যান্ড সোসাইটি অর্গানাইজেশন "কুমারীত্ব পরীক্ষা" বন্ধের দাবিতে প্রচার শুরু করে এবং এ বিষয়ে মানুষকে আরও শেখানো ও সচেতন করার আহ্বান জানায়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হালালেহ তাহেরি বলেন: "আমরা চাই ছেঁড়া হাইমেন মেরামতের পদ্ধতি নিিষদ্ধ করা হোক্, কিন্তু যথাযথ শিক্ষা বা সচেতনতা ছাড়া এই প্রথা নিষিদ্ধ করতে গেলে তাতে ভালর চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। এই বিষয়টা নিয়ে যে ব্যবসা করা হচ্ছে, তার কারণই হল কুমারীত্ব নিয়ে সনাতন মানসিকতা। "আমরা যদি আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের শেখাতে পারি, এবং তাদের বদ্ধমূল বিশ্বাসে পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে অস্ত্রোপচার করে হাইমেন পুর্নস্থাপন বা মেরামত করার আর কোন প্রয়োজন হবে না। এই ব্যবসা সময়ে আপনিই গুটিয়ে যাবে।"
ব্রিটিশ চিকিৎসাকেন্দ্রে নারীদের বিতর্কিত "কুমারীত্ব পরীক্ষা" করা হচ্ছে বলে বিবিসির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সকালে দুই দিনব্যাপী বৈঠক শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সকালে দুই দিনব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে সোমবার ঢাকা সফরে এসেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এর আগে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে গত ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি গঠন এবং মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া শুরু করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আরো পড়ুন:রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সমঝোতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমঝোতা কতটা সফল হবে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইওভার থেকে ছিটকে ট্রেন রাস্তায় তবে মিয়ানমার কত দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করবে তা বলা হয়নি চুক্তিতে। এদিকে, তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করার কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত তা করা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো দুই দেশের মধ্যে 'টার্মস অব রেফারেন্স' চূড়ান্ত হয়নি। আজ শুরু হওয়া দুই দিনের বৈঠকে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি এবং টার্মস অব রেফারেন্স চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আলোচনা হবে। অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারে সেনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা ও নেপিডোর মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের উদ্দেশ্যে বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। দিল্লি সফরে এসে বাংলাদেশের এই প্রভাবশালী নীতি-নির্ধারক বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও দাবি করেছেন, অতীতে যেভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে 'ভারতের তাঁবেদার' বলে আক্রমণ করা হত সেই দিন আর নেই - কারণ দুই দেশের সম্পর্ক এখন 'সমানে-সমানে।' জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গী বিএনপিকেও ভারত কিছুতেই ভরসা করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন, যদিও বিএনপি নেতৃত্ব তার এই বক্তব্যকে 'সম্পূর্ণ অবান্তর' বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। বিএনপির কথা হল, তাদের সম্পর্কে ভারতের কী মনোভাব সেটা দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে - এইচ টি ইমাম নন। তিন দিনের সফরে দিল্লিতে এসে এইচ টি ইমাম ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে যেভাবে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন কিংবা নানা থিঙ্কট্যাঙ্কে মতবিনিময় করেছেন, সেটা যে দুই সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার আর একটা প্রমাণ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মি. ইমাম বিবিসিকে বলছিলেন, দু'দেশের সম্পর্ক এখন সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ঠিকই - কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনেও নাক গলাতে চাইবে। "একটা বিষয়ে আমরা সব সময় বিশেষ খেয়াল রাখি - তা হল আমরা কেউ কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এরকমও চাইব না যে আমাদের নির্বাচনে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করুক।" "ভারত হল আমাদের ঘনিষ্টতম মিত্র। বাংলাদেশে যেমন নির্বাচন, তেমনি ভারতেও সামনে নির্বাচন আসছে। এই পটভূমিতে ধরেই নেওয়া যায় বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচারে ভারত খুবই উল্লেখযোগ্যভাবে উল্লিখিত হবে, তাই না?" "সবাই বলবে এই সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে অমুক হল, তমুক হল। আগে তো তাঁবেদার সরকার এরকম আরও কত কী বলা হয়েছে, কিন্তু এখন আমরা ইক্যুয়াল পার্টনারস, সমান - এই জিনিসটা তো আমরা ভোটের প্রচারে অবশ্যই বলব," বলছিলেন মি ইমাম। বিএনপি বলছে, বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় তারা। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের নির্বাচনে কি ভারত প্রভাব খাটায়? নির্বাচনে যেভাবে ভারতের সাহায্য চায় বিএনপি তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির এই কো-চেয়ার সেই সঙ্গেই জানাচ্ছেন, ভারতের নির্বাচনে দলগুলো কী ধরনের কৌশল অবলম্বন করে, কীভাবে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যায় বা জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য কোন রাস্তা নেয় - সেগুলো নিয়ে তাদের দলের ভেতরেও আলাপ-আলোচনা হয়। দলীয় স্তরেও ভারত ও বাংলাদেশের দুই ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও তিনি গোপন করছেন না, কিন্তু পাশাপাশি এটাও বলছেন, "সরকারিভাবে বা রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই, আমরাও তা কখনও চাই না!" এদিকে গত মাসেই বিরোধী বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ভারতে এসে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় সেটা যেন তারা দেখেন। এই 'সহায়তা' চাওয়ার মধ্যে দিয়ে বিএনপি ভারতের প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে চাইছে বলেও পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেছিলেন। বিএনপি জামায়াতের একটা এক্সটেনশন মাত্র: এইচ টি ইমাম এইচ টি ইমাম কিন্তু বলছেন, বিএনপি এখন জামায়াতে ইসলামীর একটা 'এক্সটেনশন' মাত্র, এমন একটি দলকে ভারত কিছুতেই ভরসা করবে না। "যত যা-ই বলুন না কেন, বিএনপির ঘাড়ে জামায়াতে ইসলামী এমনভাবে সওয়ার হয়েছে যে তারা আর তা থেকে বেরোতেই পারছে না। এখন তো বিএনপির নিজস্ব কর্মীও নেই, রাস্তাঘাটে যে সব কাজকর্ম তারা করেন - সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই হোক বা বিক্ষোভ প্রদর্শন, শিবির ছাড়া তো তাদের এক পা-ও চলে না!" "এই শিবির হল জামায়াতের ছাত্র ফ্রন্ট - যারা খুব প্রশিক্ষিত একটা ক্যাডার বাহিনী। আগে রগ কাটত, এখন গ্রেনেড ছোড়ে, বোমা মারে, মলোটভ ককটেল বানায় - এই সব নানারকম!" "এরকম একটা সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে ভারতের সরকারের বা ক্ষমতাসীন দলের কিছু করার থাকবে বলে তো আমার মনে হয় না! এরকম আত্মঘাতী পদক্ষেপ কেউ নেবেন বলে তো আমার মনে হয় না", বলছেন মি. ইমাম। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার মোশারফ হোসেন । এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক: বিএনপি নেতা খোন্দকার মোশারফ হোসেন তবে ঢাকায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার মোশারফ হোসেন মনে করছেন, তাদের দলকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করার কোনও এখতিয়ারই আসলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার নেই। মি. হোসেন বিবিসিকে বলছিলেন, "ওনার বেশির ভাগ কথাই আসলে সম্পূর্ণ অবান্তর। আমাদের দল বিএনপি একটি মধ্যপন্থী, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া এই দলের সুনির্দিষ্ট আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যও আছে। সেখানে বিএনপি আছে কি নেই, অন্য দলের একজন নেতা হয়ে তা উনি বলার কে? প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা হয়ে তার এ মন্তব্য করা আদৌ সমীচীন হয়নি বলেই মনে করি।" "আসলে দল হিসেবে বিএনপি এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তারা আমাদের এতটাই ভয় পায় যে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ অবধি করতে দিতে চায় না। সেখানে তিনি যদি বলেন বিএনপি নেই, তাহলে তা তো সে কথার কোনও ভিত্তিই নেই," বলছিলেন বিএনপির ওই শীর্ষস্থানীয় নেতা। তবে বিএনপির প্রতি ভারতের মনোভাব কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে এইচ টি ইমামের করা মন্তব্য আরও বেশি দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন খন্দকার মোশারফ হোসেন। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের কাছে কী সহযোগিতা চায় বিএনপি তার কথায়, "ভারত বিএনপিকে পাত্তা দেবে না কিংবা নির্বাচনে বিএনপিকে বিশ্বাস করবে না, এই সব কথা উনি বলার কে? উনি কি ভারত সরকারের বা প্রশাসনের কেউ? যদি এটাই ভারত সরকারের নীতি হয়, তাহলে সেটা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে, ইনি সেখানে বলার কে?" মি. হোসেন আরও বলছেন, ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে ঢাকায় এসে ভারতের তদানীন্তন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং যেভাবে নির্বাচনে নাক গলিয়েছিলেন - এবারে তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই তারা আশাবাদী। কারণ ভারত এবারে বাংলাদেশে ভোটের অনেক আগেই রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে সেখানে হস্তক্ষেপ না-করার কথা জানিয়েছে - আর বিএনপিও আপাতত সেটাকে সন্দেহ করার কোনও কারণ দেখছে না। আরো পড়ুন: যেভাবে ওরা থাইল্যান্ডের গুহায় পথ হারিয়েছিল থাই গুহায় উদ্ধার অভিযান শুরু: ঝুঁকি কতোটা? 'স্পাইক্যাম ভিডিও' নিয়ে কেলেঙ্কারি দক্ষিণ কোরিয়ায়
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, সে দেশের আসন্ন নির্বাচনে ভারত কিছুতেই হস্তক্ষেপ করবে না বলে তারা নিশ্চিত।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লি তিনি বলেছেন, ভাসানচরে সাইক্লোন হলে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সেটা না দেখে এবং দ্বীপটির সুযোগ সুবিধা পর্যাপ্ত যাচাই না করে কোন ভাবেই তাড়াহুড়ো করে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো উচিত হবে না। একইসাথে রোহিঙ্গাদের নিজেদের সরাসরি সেখানে গিয়ে দ্বীপটি দেখার সুযোগ করে দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি যাতে তারা নিজেরা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে সেখানে তারা যেতে চান কিনা। বৃহস্পতিবার ভাসানচরে এক সফরের পর আজ (শুক্রবার) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বক্তব্য দেন। তিনি অবশ্য হেলিকপ্টার থেকে দ্বীপটির অবস্থা যাচাই করার চেষ্টা করেছেন। জাতিসংঘ দূত বলেন, তাড়াহুড়ো করে একটি দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হলে মিয়ানমারের কাছে ভুল বার্তা দেয়া হবে । তিনি বলেন, মিয়ানমার এমন বার্তা পেতে পারে যে বাংলাদেশেই রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে, তাদের ফেরত না নিলেও চলবে। "তারা (মিয়ানমার) একটি জঘন্যতম অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে বলে ভাবতে পারে।" মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। জানা গেছে, ভাসানচরে বেড়িবাধ নির্মাণ, ঘরবাড়ি, সাইক্লোন শেল্টারসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে একেবারেই প্রস্তুত নয় বলে জানা গেছে। আকাশ থেকে তোলা ভাসনচরের রোহিঙ্গা শিবির সরকারের ভাষ্য কি? জাতিসংঘের বিশেষ দূতের এসব বক্তব্য নিয়ে সরকারের তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ভাসানচরে যে ব্যাপক একটি প্রস্তুতি চলছে সেই ধারনা সরকারের পক্ষ থেকে আগেই দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের থাকার বাড়িঘরসহ নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। সেখানে গেলে মৌলিক যে সুবিধাগুলো দরকার সেগুলো রোহিঙ্গাদের দেয়া হবে বলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। যারা ভাসানচরে যাবেন সেইসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে এসে মাঝেমধ্যে আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেয়া হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে বিবিসি সম্প্রতি সরেজমিনে কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে ধারণা পেয়েছে যে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে চায় না। ভেনেজুয়েলা সংকট: কোন ভূমিকায় সেনাবাহিনী? ঘুমিয়ে থাকা ১৩ শ্রমিক নিহত: ঘটনা ঘটলো যেভাবে ভাসানচর শিবিরের নকশা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কতদূর? রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ দূত বলেন, তাদের ফরিয়ে নিয়ে যেতে হলে যে পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার মিয়ানমার তা একেবারেই করছে না, বরং এখনো সহিংস পথ বেছে নিচ্ছে। তিনি বলেন, এখনো যে কজন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে অবশিষ্ট রয়েছে তাদের জন্য খুব ভয়ের একটি পরিবেশ তৈরি করে ধীরে ধীরে সেখান থেকে তাদেরকে বাংলাদেশে বিতাড়নের পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। জিরো লাইনে এখনো যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা রয়েছ সেখানে তাদের নিয়মিত ফাঁকা গুলি ছুড়ি ভয় দেখানো, রেডিওতে তাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে যাতে তারা বাংলাদেশে ঢুকে যায়। ইয়াংগি লি বলেন, বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা অদূর ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারবে এমন বলা যাচ্ছে না।
মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লি তাড়াহুড়ো করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর না করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
নেদারল্যান্ডস-এ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। মঙ্গলবার তারা এই তদন্ত শুরু করে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে পূর্নাঙ্গ তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ এটা। বার্তা সংস্থা এএফপি আইসিসিকে উদ্ধৃত করে বলছে ,দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে উত্তরের রাখাইন প্রদেশের প্রায় সাত লক্ষ মানুষ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বিচারকরা রায় দেন যদিও মিয়ানমার আইসিসির সদস্য দেশ না, তারপরেও ঘটনার এক অংশ যেহেতু বাংলাদেশে ঘটেছে, এবং বাংলাদেশ যেহেতু আইসিসির সদস্য সেহেতু আন্তর্জাতিক আদালত বিচারকার্য করতে পারবে। আইসিসির কৌসুলী ফাতৌ বেনসৌদা এক বিবৃতিতে বলেছেন "আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই প্রক্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করবো এবং পরিস্থিতির পূর্নাঙ্গ প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করবো"। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা নিয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার আছে: আইসিসি রোহিঙ্গা 'গণহত্যার' তদন্ত কীভাবে করেছে জাতিসংঘ? আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্ত পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক তদন্তে রূপ নিতে পারে আইসিসির মাধ্যমে। এর নজির রয়েছে ২০০২ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধের যে তদন্ত শুরু হয় সেটা। এই তদন্তের পরে সেটা অভিযোগ গঠন করা যেতে পারে। ফাতৌ বেনসৌদা ফাতৌ বেনসৌদা বলেছেন প্রাথমিক তদন্ত হতে পারে " দমনমূলক সেসব কাজের বিরুদ্ধে যার ফলে বাধ্যতামূলক স্থানান্তর, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে"। তিনি বিবৃতিতে বলেছেন রোহিঙ্গাদের ওপর অন্য আরো কোন ধরণের অপরাধ যেমন নিপীড়ন বা অমানবিক আচরণ করা হয়েছে কিনা সেটাও বিবেচনা করা হবে। কীভাবে শুরু হল আইসিসির হস্তক্ষেপ? আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার কর্তৃত্ব আদালতের রয়েছে। ৭ সেপ্টম্বরে নেদারল্যন্ডস-এর দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তাদের এ রায় দিয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের তিনজন বিচারকের মধ্যে দুইজন একমত পোষণ করলেও একজন ভিন্নমত দেখিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌশুলী আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে রোহিঙ্গাদের যেভাবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে সেটির তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রয়েছে কিনা। সে প্রেক্ষাপটে আইসিসি'র প্রি-ট্রায়াল চেম্বার রায় দিয়েছে যে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য না হলেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে ঘটনার একটি অংশ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে। ফলে আইসিসি মনে করেছে রোম সনদ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে। এ রায়ের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌসুলি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন। তবে আদালত জানিয়েছে যে এ ধরণের তদন্ত একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আইসিসি'র উদ্যোগ এবং ঘটনাক্রম . এপ্রিল মাসে আইসিসির প্রধান কৌসুলি আদালতের কাছে রোহিঙ্গাদের উপর মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তের অনুমতি চেয়েছিলেন। . মে মাসের প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে আইসিসি বাংলাদেশের মতামত জানতে চেয়েছে। এবং ১১ জুনের মধ্যে বাংলাদেশের জবাব চাওয়া হয়েছে। . জুন মাসে আইসিসি মিয়ানমারের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছে এবং ২৭ জুলাই-এর মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। . ৯ই অগাস্ট মিয়ানমারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের উদ্যোগ এখতিয়ার বহির্ভূত। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় আসার ১১দিন আগে জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের দায়ে মিয়ানমারের সেনা প্রধানসহ শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার। এছাড়া, ঘটনা বিচারের জন্য বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে। ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন এবং পুরাতন মিলিয়ে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন প্রায় ১০ লাখের বেশি। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। আরো পড়ুন: মোবাইলের নতুন কলরেট নিয়ে প্রতিবাদ ২৩ হাজার পোস্ট-মর্টেম করেছেন যিনি চট্টগ্রামের দরজা খুলছে, কী লাভ উত্তর-পূর্ব ভারতের?
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌশুলীরা মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের হত্যা, যৌন নির্যাতন এবং জোরপূর্বক বিতাড়নের অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আজ থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়াতে গতকাল ঢাকা ছাড়েন অনেকে রবিবার প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্ত সাত হাজার অতিক্রম করেছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। গত আটই মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল ছিল একদিনে সবচেয়ে বেশ শনাক্তের দিন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জন। আর এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ জন। আরো পড়ুন: কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এসব ফলাফল পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৩২ জন আর এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জন। গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল। তবে এবছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কিছুদিন দশের নিচে ছিল। কিন্তু তাতেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বগতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসা পৌনে তিনশো যাত্রী কেন বিক্ষোভ করছেন টেনে তোলা লঞ্চের ভেতর থেকে বের হলো ২১টি মরদেহ, মোট নিহত ২৬ মামুনুলকে নিয়ে শেখ হাসিনা যা বললেন ও হেফাজত যে জবাব দিল
বাংলাদেশে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নেপালি উদ্ধারকারী দল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স-এর বিমানের ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখেছে। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের গাফিলতিকে দায়ী করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। এয়ারলাইন্সটি বলছে, তাদের বৈমানিক বেঁচে আছেন এবং বৈমানিকদের দিক থেকে কোন ত্রুটি ছিলোনা বলেই মনে করছেন তারা। অন্যদিকে, নেপাল কর্তৃপক্ষ পাইলটকেই দোষারোপ করছে। নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেছেন, বিমানটিকে দক্ষিণ দিক থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এটি নামে বিমানবন্দরের উত্তর দিক থেকে। ''বিমানটির অস্বাভাবিক এই অবতরণের কারণ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারছি না,'' - বলেন তিনি। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও আসিফ ইমরান বলেন, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ও কাঠমান্ডু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র মধ্যেকার কথোপকথন তারা পেয়েছেন এবং সেটি ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে। এক সময় তার মোবাইল থেকে তিনি সেই কথোপকথনের কিছুটা শোনান। "নেপাল কাঠমান্ডু টাওয়ারের গাফলতি ছিলো পাইলটদের ভুল বার্তা দেয়ার। সে কারণেই দুর্ঘটনাটি হয়েছে,'' - তিনি বলেন। মিঃ ইমরান বলেন, পাইলটদের সাথে এটিসি টাওয়ারের ল্যান্ডিংয়ের আগের কথোপকথনে ছিলো রানওয়ের কোন দিক থেকে পাইলট ল্যান্ড করবেন। ''তিন মিনিটের মধ্যে আমাদের পাইলটকে বিভিন্ন বার্তা দেয়া হয়েছে। এ বার্তা দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে আমি মনে করছি,'' - মিঃ ইমরান বলেন। ''পাইলটদের বিভ্রান্ত করেছে ভুল রানওয়েতে নামার জন্য।'' কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর প্রতি বছর নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করলেও দুর্ঘটনা বিরল নয়। যদিও নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেছেন, বিমানটিকে দক্ষিণ দিক থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এটি নামে বিমানবন্দরের উত্তর দিক থেকে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নেপালের গণমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনার আগে বিমানটি অদ্ভুত আচরণ করেছে। এ সব কারণে প্রশ্ন ওঠে যে পাইলটদের তরফ থেকে কোন ত্রুটি ছিলো কি-না। তবে ইউএস বাংলার সিইও এ ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "ক্যাপ্টেন আবিদ হাসান জীবিত আছেন। উনি এয়ারফোর্সে ছিলেন আগে। এ ফ্লাইটের তিনি একজন প্রশিক্ষক। কথোপকথন শোনার পর আমাদের মনে হচ্ছেনা যে আমাদের পাইলট কোন ভুল করেছে। আপনারা যদি কথোপকথন শোনেন বা যে কোন বোদ্ধাই একথা বলবে।'' এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ থেকে একটি সাহায্যকারী দল পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুর সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও বার্তায় তিনি হতাহতের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। ওদিকে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে তারা তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং দলটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাঠমান্ডু গিয়ে তদন্ত শুরু করবে।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত পুরোদমে শুরু হবার আগেই দায়দায়িত্ব নিয়ে অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আওয়ামী লীগের ভেতর ভিন্ন দল থেকে যোগ দেয়া নেতা-কর্মিদের ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়ছে সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজিতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনার সন্দেহভাজন কয়েকজনের সাথে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা থাকা নিয়ে যে সমালোচনা বিতর্ক হচ্ছে - সে প্রসঙ্গে দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নুসরাত জাহাত হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সোমবার পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে, প্রধান অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আগে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও হালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতা কর্মীদের অনেকে বলেছেন, ক্ষমতার সুবিধা নিতে বিভিন্ন দল থেকে যোগদানকারির সংখ্যা উদ্বেজনক হারে বাড়ছে। সোনাগাজিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১৩ জনের মধ্যে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা সহ ১০জনকে ইতিমধ্যেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিও: যা বললেন দল থেকে বহিষ্কৃত সেই নারী বিশ্লেষণ: যে কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে সর্বশেষ সোনাগাজি পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাকসুদ আলমকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হলো। সোনাগাজি আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী মর্জিনা আকতার বলছিলেন, সাবেক জামায়াত নেতা সিরাজউদ্দৌলা স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু'এক জনের সাথে যোগসাজশ করে চলতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকেই অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে তিনি মনে করেন। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা সোনাগাজির হত্যারকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় না দিয়ে তাদের অপরাধী হিসেবে দেখার কথা বলছেন। কিন্তু সোনাগাজির ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারিদের নিয়ে দলটির নেতা কর্মিদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে বলে মনে হয়। বিগত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কর্মিদের একটি মিছিল বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু টানা সরকারে রয়েছে, সেজন্য সুবিধা নিতে বিভিন্ন দল থেকে লোকজন ভিড় করছে তাদের দলে।এই নব্যদের অনেকের নানান অপরাধের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। "আওয়ামী লীগ যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে, এখানে হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে আমি বলবো। কারণ দেখা যাচ্ছে, অনেকে আওয়ামী লীগের বদনাম করার জন্য, অনেকে আছে চেহারাটা পাল্টিয়ে নব্য আওয়ামী লীগার হয়ে বিভিন্ন কাজ করে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলছে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতি করে যাচ্ছে, তারা অনেক সময় হাইব্রিডদের কারণে অবহেলিত হয়।" গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দল থেকে যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তাদের নিয়ে অনুপ্রবেশকারি বা হাইব্রিড- এই শব্দগুলো দলটিতে বেশ আলোচিত হচ্ছে। দলটির সিনিয়র নেতারাও বিভিন্ন সময় এনিয়ে জনসমক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। অনেক জায়গায় নব্যদের সাথে পুরোনো নেতা কর্মিদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে বলেও দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন। উত্তরের একটি বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী পূর্ণিমা ভট্টাচার্য বলছিলেন, পরিস্থিতির কারণে তৃণমুলে তাদের মাঝে অনেক সময় হতাশাও তৈরি করছে। "অনুপ্রবেশকারি বা হাইব্রিড নামে যে কথাটা প্রচলিত হয়েছে বা তারা যে আসছে,এরা এসে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং অনেক ক্ষতি করছে। আমরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে দল করি, তারা প্রতি পদে পদে এটা অনুভব করছি।" তবে বছর খানেক আগে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে যুদ্ধাপরাধী কেউ বা জামায়াতে ইসলামীর কেউ যেনো তাদের দলে যোগ দিতে না পারে। এছাড়া অন্য দলগুলোর কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চাইলে তার অতীত যাচাই করে দেখার নির্দেশ ছিল দলটির সব পর্যায়ের নেতা কর্মিদের প্রতি।দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকেই এই নির্দেশ ছিল। কিন্তু এর বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরই অনেকে। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফও বলেছেন, "আমরা দূর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি যে, বিভিন্ন সময় বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন দল থেকে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে ভিড়েছেন।" মি: হানিফ আরও বলেছেন, বিভিন্ন দল থেকে যারা এসেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পর ইতিমধ্যে সারাদেশে এই তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে যে কোথায় কে কোন দল থেকে যোগদান করলো। সেটাকে যাচাই বাছাই করার জন্য একটি কমিটি করা হযেছে। সেই কমিটি কাজ করছে।" আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও জানিয়েছেন, তালিকা যাচাই করে যাদের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ফারাক পাওয়া যাবে, তাদের দল থেকে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, দলের যারা তাদের প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদের ব্যাপারেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, গত বছরগুলোতে বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারিদের তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই সম্মেলনে বলেছেন, এই অভিযোগটি অতিরঞ্জিত। যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভূমিকা গুটিয়ে নিচ্ছে বলে যে অভিযোগ, সেটিও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি ইউরোপীয় নেতাদের এই বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে আটলান্টিকের দুই তীরের বন্ধন অটুট আছে এবং 'পশ্চিমা বিশ্বের বিজয় অব্যাহত আছে।' কিন্তু প্রায় সাথে সাথেই তার এই কথার পাল্টা জবাব দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, 'পশ্চিমা বিশ্ব ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে।' মিউনিখ সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সম্মেলনগুলোর একটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন জেনারেল, কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক নীতি-নির্ধারক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই সম্মেলনে যোগ দেন। এবারের সম্মেলনের আলোচনায় দুটি বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। একটি হচ্ছে পশ্চিমা দুনিয়ার ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু প্রভাব। আরেকটি হচ্ছে রাশিয়া এবং চীন যেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশ আরও বেশি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, সেই বিষয়টি। সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তো এখন 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়' বলে যে কিছু আছে সেই ধারণাটিকেই প্রত্যাখ্যান করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন তার প্রতিবেশি এবং মিত্রদের গ্রাহ্য না করেই তাদের মত করে পথ চলছে। মাইক পম্পেও: 'পশ্চিমা প্রভাব শেষ হওয়ার কথা অতিরঞ্জিত' তবে জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। "আটলান্টিকের দুই তীরের মৈত্রী শেষ হয়ে গেছে বলে যেকথা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত।" তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সীমান্তে নেটোর শক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে তারা ইউরোপকে নিরাপদ রাখছেন। কিন্তু ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ জার্মান প্রেসিডেন্টের কথা সমর্থন করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে হচ্ছে ইউরোপের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পুর্নমূল্যায়ন করতে চাইছে। তিনি বলেছেন, ইউরোপকে তার নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই ঠিক করতে হবে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্র: 'পশ্চিমা বিশ্ব ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে।' ইউরোপ আর আমেরিকার সম্পর্কে যে ফাটল দেখা দিয়েছে তার সবচেয়ে বড় উদাহারণ হচ্ছে চীনের বৃহৎ কোম্পানি 'হুয়াওয়ে' নিয়ে মতবিরোধ। যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক চাপ দিচ্ছিল হুয়াওয়েকে যেন অন্যদেশগুলো ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক করার অনুমতি না দেয়। তাদের যুক্তি এর মাধ্যমে বেইজিং ইউরোপের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির সুযোগ পেয়ে যাবে। অন্যান্য খবর: মাছশূন্য হতে পারে বঙ্গোপসাগর? তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের শিকার বর রংপুরে শিশুকে হত্যার অভিযোগে মা গ্রেফতার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার তার বক্তৃতার পুরো সময় ধরে চীন সম্পর্কে সেরকম হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমেরিকার মিত্র দেশগুলো চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে তাদের দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করতে দিলে চীনা গোয়েন্দা তৎপরতার দরোজা খুলে যাবে। কিন্তু ব্রিটেন আর ফ্রান্সের মতো মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপ এখনো পর্যন্ত অগ্রাহ্য করে চলেছে। সম্মেলনে আমেরিকার সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীনা টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষারক্ষী মার্ক এসপার মিথ্যা বলেছেন। এর আগে মি এসপার বলেন, চীন হুয়াওয়ের মাধ্যমে পশ্চিমা প্রযুক্তি চুরি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাব দিনে দিনে খর্ব হচ্ছে বলে যে কথা বলা হয়, তা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে মোটামুটি একটা বিতণ্ডা হয়ে গেছে মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকার কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অর্থাৎ এই হার এক শতাংশের সমান। যদিও মৃত্যুর বিষয়টি আরো অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে, যেমন বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং আপনি যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রয়েছেন তার অবস্থা কেমন সেটিও দেখার বিষয়। মৃত্যুহার বের করা কতটা কঠিন? মৃত্যুহার বের করাটা বেশ কঠিন। এমনকি কতজন মারা গেলো তা গণনা করাটাও জটিল। বেশিরভাগ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবের বাইরে থেকে যায় কারণ মৃদু উপসর্গ থাকলে কেউই চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। ভাইরাসের ভিন্নতার জন্য বিশ্ব জুড়ে যে মৃত্যু হার জানা যাচ্ছে তাও যথোপযুক্ত নয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণা বলছে, মৃদু সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে কিছু দেশ পারদর্শী হলেও অনেক দেশে আবার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। যার কারণে আক্রান্তের হিসাব রাখাটা কঠিন। তাই সব আক্রান্তের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা না হলে মৃত্যুহার অনেক বেশি বলে মনে হতে পারে, আবার বিপরীত হলে এর উল্টো চিত্রও হতে পারে। সংক্রমণ ভাল হয়ে যাবে নাকি সেটি মৃত্যু ডেকে আনবে তা বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। আর এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই যদি সব সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা হয়, তাহলে মৃত্যুহার কম বলে মনে হবে, কারণ যারা শেষমেশ সংক্রমণে ভুগে মারা যাবে তাদের সংখ্যাটা সেসময় পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরা এ ধরণের প্রতিটি ঘটনা একত্রিত করে মৃত্যুহার নিয়ে একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরির চেষ্টা করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিজ্ঞানীরা ছোট পরিসরে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মধ্যে মৃদু উপসর্গের হার অনুমান করেন। পরে ওই সব ঘটনা থেকে ছোট ছোট পরিবর্তনও বড় পরিসরে বড় পরিবর্তনের সাথে যুক্ত করা হয়। যেমন, যদি শুধু হুবেই থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয় যেখানে অন্য জায়গার তুলনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি, তাহলে সর্বমোট মৃত্যুহার আরো অনেক বেশি হবে। তাই বিজ্ঞানীরা মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে একটি ধারা বা পরিসীমা ব্যবহার করেন এবং সেই সাথে সর্বশেষ সম্ভাব্য ধারণাটিও জানিয়ে দেন। কিন্তু এটিও আসলে পুরো ঘটনার পূর্ণ চিত্র দেয় না কারণ এর কোন একক মৃত্যুহার নেই। সাধারণ মানুষের ঝুঁকি কতটা? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিছু মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়: যেমন যারা বয়স্ক, অসুস্থ আর পুরুষ। চীনে সংক্রমণের শিকার ৪৪ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম বড় আকারে যে বিশ্লেষণটি পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় যে, মধ্য বয়সীদের তুলনায় বয়ো-বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ গুণ বেশি। ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম- সাড়ে চার হাজার জন আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৮ জন মারা গিয়েছিল। আর যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুহার ৫ গুণ বেশি। জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরীতে ৬২১ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহারও কিছুটা বেশি। এই সবগুলো কারণই একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই বিভিন্ন এলাকায় থাকা মানুষের জন্য ঝুঁকির হার কতটা রয়েছে তার কোন সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। যেখানে বাস করছি সেখানে ঝুঁকি কতটা? চীনে বসবাস করা ৮০ বছর বয়সী একদল মানুষের মধ্যে যে ঝুঁকি রয়েছে তা ইউরোপ কিংবা আফ্রিকায় থাকা একই বয়সী একদল মানুষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এছাড়া কী ধরণের চিকিৎসা সেবা আপনি পাচ্ছেন সেটার উপরও আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নির্ভর করে। একই সাথে এটা নির্ভর করে প্রাদুর্ভাবটি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কী ধরণের সুযোগ রয়েছে তার উপর। যদি প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর বাড়বে এবং যেকোন নির্দিষ্ট এলাকায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ভেন্টিলেটর ব্যবস্থাও নির্দিষ্ট থাকে। ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের একটি বিশেষ সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটি কি ফ্লু এর চেয়ে বেশি বিপদজনক? আমরা মৃত্যুহার তুলনা করতে পারি না, কারণ অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ফ্লু-এ আক্রান্তর হওয়ার মৃদু উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান না। কাজেই আমরা জানি না যে, প্রতিবছর ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা কত হচ্ছে আর অন্য কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কত হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এখনো বিশেষ করে শীতকালে ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়। তাই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা একটা পূর্ণ চিত্র দিতে পারবেন যে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মৌলিক যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তা হলো, হাত ধুয়ে, কাশি বা সর্দিতে ভুগছেন এমন মানুষ থেকে দূরে থেকে এবং চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ তৈরি করে এমন সব ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
গবেষকরা বর্তমানে মনে করছেন যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে ৫ থেকে ৪০ জন মারা যেতে পারে, তবে বিজ্ঞানীরা জোড়ালোভাবে মনে করেন যে, প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে ৯ জন হয়তো মারা যান।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষক আহলাম আল-সোমালির সাথে ছাত্রী মারিয়া আল-ফারাজ দশকের পর দশক ধরে সেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ঘোষণা আসে প্রথমবারের মত গত বছরের সেপ্টেম্বরে। আর এই মাসের শুরুর দিকে মেয়েদের প্রথম লাইসেন্স দেয়া হয়। সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। গাড়ি চালানোর জন্য গাড়ির মালিকদের ব্যক্তিগত চালক রাখতে হত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা একদিনে বাতিল হয়নি। দেশটিতে অ্যাকটিভিস্টদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে,তাদেরকে আবার ধর-পাকড় করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে অন্তত আটজন নারী অ্যাকটিভিস্টকে আটক করা হয়েছে যারা কাউন্টার টেররিজম কোর্টে বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদী জেল খাটার সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে অ্যামনেস্টি মনে করছে, দেশটিতে মেয়েদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আরো সংস্কার কাজ করা উচিত। আরো পড়ুন:সৌদিতে যেভাবে গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েরা বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না ১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর জন্য কয়েক ডজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৮ থেকে ২০১১ এবং ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অনেক নারীকেই দেখা গেছে তারা গাড়ি চালাচ্ছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এদিকে আনুষ্ঠানিক এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শীগগিরই হাজার হাজার নারীকে রাস্তায় দেখা যাবে গাড়ি চালাতে। সৌদি আরবের টেলিভিশনের একজন প্রেজেন্টার সাবিকা আল দোসারি এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন "প্রত্যেকটা সৌদি নারীর জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক সময়"। তিনি বলেছেন যখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তখন স্থানীয় সময় রাত নয়টায় তিনি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেন। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন শেষ মূহুর্তের অবিশ্বাস্য গোলে জয় জার্মানির কাশ্মীরের হিন্দু মুসলমানদের এক করছে যে শিল্প প্রদর্শনী
সৌদি আরবের নারীরা এখন থেকে গাড়ি চালানোর আনুষ্ঠানিক বৈধতা পেয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন সিঙ্গাপুরে গত জুন মাসে। ওয়াশিংটন সফরকারী উত্তর কোরিয়ার একজন মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং চোলে শুক্রবার মি: ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। এরপর হোয়াইট হাউজ মি: ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের সময় ঘোষণা করে। তবে বৈঠকের স্থান সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ভিয়েতনামে এই বৈঠক হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আনের মধ্যে যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-কিম বৈঠক: দিনের কিছু আলোচিত মুহূর্ত কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? সেই বৈঠকের পর থেকে এপর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। এবার বৈঠকে আগের চুক্তির অস্পষ্টতা দূর করা সম্ভব হবে কি না, বিশ্লেষকদের অনেকে সেই প্রশ্ন তুলেছেন। কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার দূত কিম ইয়ং চোলের ওয়াশিংটন সফরকে প্রথম পদক্ষেপ বা সামান্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন সফররত উত্তর কোরিয়ার দূত হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। উত্তর কোরিয়ার দূত তাদের দেশের নেতা কিম জং আনের একটি চিঠি মি: ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কি আছে, কিম জং আন তার পদক্ষেপের কিছু জানিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের করার ব্যাপারে কিছু বিষয় থাকতে পারে। দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের কথা ঘোষণা করার পর সেই বৈঠকে আসলে কতটুকু কি হবে, তা নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুর বৈঠকের পর কোন অগ্রগতি কি হয়েছে? সেই বৈঠকের পর প্রাপ্তি আসলে সেভাবে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং এর মধ্যে আলোচনা বা মধ্যস্থতা থমকে ছিল। উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের তথ্য বা বিস্তারিত কিছু এখনও জানায় নি এবং অন্যদিকে দেশটির ওপর অবরোধ বহাল রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কেন বাংলাদেশে ঢুকছে বাংলাদেশ কি গণতন্ত্র থেকে ছিটকে পড়ছে? সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনা জরুরি 'দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' নিয়ে যত বিতর্ক উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কোন তথ্য এখনও দেয়নি। অন্যদিকে, কিম জং আন ব্যস্ত ছিলেন বিশ্বে তার ভাবমূর্তি তৈরির কাজে। তিনি প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নতি করেছেন। দুই দেশ তাদের সীমান্তে সামরিক বাহিনীর তল্লাশি চৌকিগুলো ধ্বংস করেছে এবং দুই নেতা একে অপরের দেশে সফর করেছেন। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের মধ্যেও সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। কিম জং আন একাধিকবার চীন সফর করেছেন। সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আনের বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে অস্পষ্টতা ছিল বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। সিঙ্গাপুর বৈঠকে আসলে কি হয়েছিল? সেখানে বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক দেড় পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে অস্পষ্ট এবং সারবস্তুহীন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কোন সময় দেয়া নাই। উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বললে, সেটা তথ্য প্রমাণ দিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার বিষয় ঐ চুক্তিতে ছিল না। এখন দ্বিতীয় বৈঠক সামনে রেখে অনেকে আশা করছেন, এবার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে আসতে পারে। সেটা না হলে আবারও বিষয়গুলো অস্পষ্ট থেকে যাবে। কিম জং আন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের কর্মসূচি এখন কি অবস্থায় আছে? দেশটি গত জুনের বৈঠকের পর কোন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। তারা একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা কেন্দ্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন সুবিধা ধ্বংস করেছে। কিন্তু গত নভেম্বরে দেশটি নতুন একটি হাইটেক কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কতটা আছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের ব্যাপারে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ার একজন মধ্যস্থতাকারী এখন ওয়াশিংটনে। হোয়াইট হাউজে মি. ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে উত্তর কোরিয়ার এই দূত কিম ইয়ং চোলের সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসছেন। হোয়াইট হাউজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি কনস্যুলার সম্পর্ক বিষয়ক ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের পরিষ্কার লঙ্ঘন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য' অ্যাফেয়ার্সের কাছে এ ব্যপারে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের মে মাসে ঐ কূটনীতিকের বাড়ি থেকে যখন গৃহকর্মী নিখোঁজ হয়, তখনই বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ মাসে বিষয়টি নিয়ে এই কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত কোন ধরণের অগ্রগতি জানানো হয়নি বাংলাদেশকে। ১২ই জুন গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেছেন, তারা মনে করেন অভিযোগকারী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়িভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, যা সত্য নয়। আরো পড়ুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিক কারাগারে বাংলাদেশে পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা এখন ১২৫ ‘ভারতকে মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে’
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মধ্যপ্রাচ্যে ভাইরাস ছড়িয়েছে মাহান এয়ারের একটি ফ্লাইট বলে বিবিসির তদন্তে প্রকাশ ওই ফ্লাইটের সাথে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীরও সম্পর্ক আছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ওই বিমানটি উড্ডয়ন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ইরান থেকে যাত্রী নিয়ে লেবানন এবং ইরাকে গিয়েছিল এবং এর ফলে দুটি দেশেই প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত লোকের অস্তিত্ব সরকারিভাবে চিহ্নিত হয়। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তেহরান সরকার চীনগামী বা চীন থেকে আসা সব বিমানের ওপর সরকারিভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু ফ্লাইট ট্র্যাকিং উপাত্ত থেকে দেখা যায় ইরানের একটি মাত্র এয়ারলাইন, মাহান এয়ার সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছিল। তাদের বিমান সরাসরি চীন গিয়েছিল এবং বিবিসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে এই মাহান এয়ারের ফ্লাইটের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। এই এয়ালাইনটির সাথে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সম্পর্ক আছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনে হচ্ছে না, ইমিউনিটি এখন বাংলাদেশের একমাত্র পথ: বিশেষজ্ঞ কী কারণে নমুনা সংগ্রহের কাজ হারালো আইইডিসিআর? যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় মাহান এয়ারের কিছু সূত্র বলছে, কিছু কেবিন ক্রু বিমানের ভেতরে সংক্রমিত যাত্রী দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিবিসির তদন্তে আরও দেখা গেছে মাহান এয়ারের বিমানে করে লেবানন এবং ইরাকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল - এবং এরপরই ওই দুটি দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমবেশি ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয় ৯৭ হাজার লোক এবং মারা যায় ৬ হাজারেরও বেশি। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয়
ইরানের মাহান এয়ার নামে একটি এয়ারলাইনের ফ্লাইটের মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল বলে বিবিসির এক তদন্তে জানা গেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কোয়েটার হাযারা এলাকার বাইরে যেতে ভয় পান এই সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক জাতীয় কমিশনের মার্চ মাসে প্রকাশিতএক রিপোর্ট অনুযায়ী বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় গত পাঁচ বছরে শিয়া হাযারা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো বিভিন্ন হামলায় অন্তত ৫০৯জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬২৭জন। হাযারা সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন তাদের হিসাবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাজার হাজার হাযারা শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কারা এই হাযারা? কোয়েটাতে হাযারারা থাকেন দুটি অবরুদ্ধ এলাকায়- মারি আবাদ (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) এবং অন্যটির নাম হাযারা টাউন কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হাযারারা পাকিস্তানে যে ছয় লক্ষ হাযারা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ বাস করেন দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমে বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা অঞ্চলে, সেখানে গত কয়েক দশক ধরে জাতিগত উগ্রবাদীরা হাযারাদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাচ্ছে এবং তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বন্দুক হামলা করছে। বালোচিস্তান শিয়া কনফারেন্সের সভাপতি দাউদ আগা বলছেন, "শিশুরা অনাথ হচ্ছে, নারীরা বিধবা হচ্ছেন, কিন্তু তারপরেও আমরা আমাদের ধর্মবিশ্বাস কখনই ছাড়ব না।" হামলার ঘটনা এড়াতে হাযারা সম্প্রদায়ের মানুষ এখন মূলত একই এলাকায় জোটবদ্ধভাবে থাকেন। কিন্তু সেসব এলাকা পরিণত হয়েছে কার্যত জেলখানায়। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ সহিংসতা ঠেকাতে তাদের এলাকা ঘিরে দেয়াল তুলে দিয়েছে। শহরের অন্যান্য অংশ থেকে তাদের এলাকায় ঢোকার পথ বন্ধ করে দিয়েছে এবং রাস্তা বরাবর বসিয়েছে সেনা চৌকি। হাযারারা শহরের এরকম দুটি অবরুদ্ধ এলাকায় একরকম কয়েদীর জীবন যাপন করছেন। সেখানে তারা একধরনের সুরক্ষা পেলেও শহরের অন্যান্য অংশে হাযারাদের ওপর এখনও হামলা অব্যাহত রয়েছে। ওই এলাকার একজন বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ মুসা বলছেন, "আমরা শহরের আরও কোন অংশে যেতে পারিনা, আমরা ব্যবসাপাতি করতে পারিনা। আমরা খাঁচায় বন্দীর মত দিন কাটাচ্ছি।" মারি আবাদের কবরস্থানে উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত প্রায় ১০০০ লাশ দাফন করা হয়েছে একসময় শহরের প্রধান বাজারে বেশিরভাগ দোকানপাট ছিল হাযারাদের। এখন সেসব বেশিরভাগ দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসা তুলে এনেছেন অবরুদ্ধ দুটি এলাকার মধ্যে। মি: মুসা বলছেন, এই সহিংসতার জন্য দায়ী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। "হাতে গোণা কিছু সন্ত্রাসীকে সরকার যদি মোকাবেলা করতে না পারে তাহলে তারা নিজেদের সরকার বলে কীভাবে?" হাযারাদের ছেলেমেয়েরাও অবরুদ্ধ দুটি এলাকার মধ্যে হতাশ জীবন যাপন করছেন। বিবিসির পাকিস্তান সংবাদদাতা সেকেন্দার কিরমানিকে এদের অনেকেই বলেছেন ভয়ে তারা এক এলাকা থেকে এমনকী অন্য এলাকাতেও যেতে পারেন না। লেখাপড়া, খেলাধুলা সবকিছুতেই তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ কমে গেছে। যে দুটো এলাকায় তারা অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছেন, তার বাইরে কোয়েটার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাযারাদের উপস্থিতি গত কয় বছরে নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার দেশটির সংখ্যালঘু হাযারা সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে একটি ''জাতিগোষ্ঠি নির্মূল'' করার চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। সাম্প্রতিক এক হামলার শুনানির সময় এক মন্তব্যে তিনি বলেছেন হাযারাদের প্রতি ''সহিংসতার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আদালতের নেই।''
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ফ্রান্সে সম্প্রতি বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া এবং পর্দা করার অধিকার নিয়ে বিক্ষোভ হয় মিলা নামে এই ১৬ বছর বয়েসী কিশোরীটিকে একজন মুসলিম ব্যক্তি 'নোংরা লেসবিয়ান' বলে মন্তব্য করার পর সে অনলাইনে ওই পোস্ট দেয়। এই পোস্টের পর তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয় এবং এরপর থেকে সে আর স্কুলে যায়নি। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করার পর টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিলা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে সে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক চলছে। ফান্সে কোনো জাতীয় ব্লাসফেমি আইন নেই, আর সংবিধানও কট্টরভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে দু'টি বিষয়ে তদন্ত করেছে: প্রথমটিতে দেখা হয়েছে মিলা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য দায়ী কি-না; অপর তদন্তটির বিষয় হচ্ছে, তাকে অনলাইনে যেসব আক্রমণ করা হয়েছে, সেটি নিয়ে। মঙ্গলবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তফ ক্যাস্তানার দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বলেন, মিলা ও তার পরিবারকে সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছিলো মিলা কী বলছে মিলা? টিএমসি চ্যানেলের অনুষ্ঠান কোটিডিয়েন-এ উপস্থিত হয়ে মিলা সেইসব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, যারা 'শান্তিপূর্ণভাবে' তাদের ধর্ম পালন করে, এবং তার বক্তব্যের 'অশালীনতার' জন্য দুঃখপ্রকাশ করে। কিন্তু একইসাথে সে তার বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নেয়। সাক্ষাৎকারে সে বলে, "আমি যা বলেছি তা নিয়ে আমার কোন অনুশোচনা নেই। এটা একেবারেই আমার নিজস্ব চিন্তা।" মিলা জানায়, এই বিতর্কের কারণে তার জীবন 'কার্যত থমকে আছে'। তাকে 'এসিডে ঝলসে দেওয়ার, আঘাত করার এবং জনসমক্ষে নগ্ন করার কিংবা জীবন্ত কবর দেবার' হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব হুমকির কারণে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছে। সোমবার ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ মিশেল ব্লঙ্কে বলেন, কর্তৃপক্ষ তাকে "শান্তিপূর্ণভাবে স্কুল ফিরিয়ে নেবার চেষ্টায় আছে, যাতে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে"। যেভাবে বিতর্কের সূত্রপাত: মিলা গত ১৮ই জানুয়ারি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি সরাসরি সম্প্রচার করার পর বিতর্কের শুরু। সেখানে সে তার সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কথা বলার পর একজন মুসলিম কমেন্টদাতা মিলাকে 'ডার্টি লেসবিয়ান' হিসেবে অভিহিত করেন। জবাবে মিলা একটি পোস্ট দেয়, যেখানে সে ইসলাম সম্পর্কে কড়া বক্তব্য সম্বলিত কথাবার্তা লেখে। সমালোচকদের চোখে, মিলার বক্তব্য ছিল আক্রমণাত্মক। এরপর কেউ কেউ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অন্যরা মিলার ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করে দেয়। ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথের প্রধান মোহাম্মদ মুসাবির বক্তব্য, যত মারাত্মক বক্তব্যই একজন মানুষ দিয়ে থাকুক না কেন, তাতে কোনভাবেই হত্যার হুমকি দেয়া জায়েজ হয় না। মিলার একদল সমর্থকগোষ্ঠিও দাঁড়িয়ে গেছে, যারা একটি হ্যাশট্যাগ চালু করেছে, যা রীতিমত ট্রেন্ডিং হয়েছে ফ্রান্সজুড়ে। #JeSuisMila অর্থ 'আমিই মিলা'। বিরোধীরা পাল্টা হ্যাশট্যাগ #JeNeSuisPasMila চালু করেছে। ফরাসী বিচারমন্ত্রী নিকোল বেলুবে বলেন, কিশোরীকে হত্যার হুমকি একেবারেই 'অগ্রহণযোগ্য'। অবশ্য মিজ বেলুবে এও বলেন, কোন ধর্মের উপর আঘাত দেয়ার অর্থ "বিবেকের স্বাধীনতার ওপর আঘাত দেয়ার শামিল।" কিন্তু ফরাসী সিনেটর লরেন্স রসিনিয়োল মিজ বেলুবের এই বক্তব্যের জবাবে সংবিধান উদ্ধৃত করে বলেছেন, ফ্রান্সে "কোন ধর্মের অনুসারীদের অপমান করা নিষিদ্ধ। কিন্তু যে কেউ ধর্মকে বা এর প্রতীককে অপমান করতে পারে"। পরে মিজ বেলুবে অবশ্য বলেন, তার বক্তব্য যথেষ্ট 'বিচক্ষণ ছিল না'। মিলার প্রচারণাকে অবশ্য কট্টর ডানপন্থীরা পছন্দ করেছে। ন্যাশনাল র‍্যালি-র নেতা মারি লো পেন বলেছেন, "গত ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর চাইতে বেশি সাহস আছে মিলার"। যারা মুসলমানদের 'কলঙ্কিত' করে কিংবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সাথে ইসলামকে জড়িয়ে ফেলে, তাদের ব্যাপারে গত অক্টোবরে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
ফ্রান্সে এক কিশোরী ইসলামকে 'ঘৃণার ধর্ম' অভিহিত করে সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেওয়ার পর দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি, এক ধরণের ভার্চুয়াল ডিজিটাল মুদ্রা। দেশটির সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কোয়াড্রিগারের পাসওয়ার্ডের তথ্য না থাকায় বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রায় ১৯ কোটি ডলারের তহবিলে প্রবেশ করতে পারছেন না। যার মধ্যে পাঁচ কোটি ডলারই নগদ অর্থ। পাসওয়ার্ডটি কোয়াড্রিগারের প্রতিষ্ঠাতা জেরাল্ড কটেনের সাথে কবর চলে গেছে বলে মনে হয়। যিনি গত ডিসেম্বরে ভারতে থাকাকালীন হঠাৎ মারা যান। প্রতিষ্ঠানটির মতে, ৩০ বছর বয়সী কটেন সম্পূর্ণ একার দায়িত্বে সব তহবিল ও মুদ্রা পরিচালনার কাজ করতেন। গত ৩১ জানুয়ারি নোভা স্কটিয়া সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোয়াড্রিগার জানায় যে তারা ওই তহবিল সনাক্ত করতে পারছেনা। কটেনের স্ত্রী, জেনিফার রবার্টসনের স্বাক্ষরিত একটি নথির মতে, তার প্রয়াত স্বামী যে ল্যাপটপে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কাজ করতেন সেটা এনক্রিপ্ট করা এবং তিনি সেই ল্যাপটপে প্রবেশের কোন পাসওয়ার্ড বা তথ্য পুনরুদ্ধারের কোন উপায় জানেন না। মিসেস রবার্টসন বলেন, "আমি দিনের পর দিন বারবার সেই পাসওয়ার্ড খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। তারপরও কোথাও সেটা লিখিত অবস্থায় পাইনি।" আরও পড়তে পারেন: বিটকয়েন নিয়ে সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েন খুঁজতে গিয়ে যে দেশ বিদ্যুৎ সংকটে বিটকয়েনে লেনদেন কতটা নিরাপদ? ২০১৩ সালে কানাডার ভ্যানক্যুভারে বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সির এটিএম চালু হয়। বিপর্যয়ে গ্রাহকরা: কোয়াড্রিগার প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার ইউজার রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পেশাদার বিনিয়োগকারী। সেইসঙ্গে আছে এমন মানুষ যারা একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে বিকল্প লাভজনক উপায় খুঁজছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম। ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইন্সটিটিউটের আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টিন ডুহেইম সিবিসিকে বলেন, "অনেকে আমাকে ইমেইল করে জানিয়েছে যে তারা তাদের অবসর গ্রহণের পুরো টাকাটাই হারিয়েছে।" "কোয়াড্রিগা দীর্ঘ সময় ধরে কাজের মাধ্যমে কানাডার বৃহত্তম বিনিময় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। এতে মানুষ ধারণা করেছিল যে তাদের টাকা নিরাপদে আছে।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ধর্না তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কার্ল মার্কসের সমাধিতে হাতুড়ি দিয়ে হামলা বিশ্ব ইজতেমা : কী সমঝোতা হলো দু পক্ষের? বাংলাদেশে ব্লগিং-এর আগ্রহ কী কমে গেছে? জেরাল্ড কটেন গত ৯ই ডিসেম্বর ভারতে সফরে থাকা অবস্থায় মারা যান এবং তার স্ত্রী বলছেন যে তার স্বামী কোয়াড্রিগার তহবিলে প্রবেশের কোনও পাসওয়ার্ড রেখে যাননি। কটেনের মৃত্যু হয়েছিল কিভাবে: কটেনের মৃত্যুর খবরটি কোম্পানির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে প্রতিষ্ঠাতা কটেন, ভারতের জয়পুরের একটি দাতব্য ভ্রমণের সময় মারা যান। সেখানে দরিদ্র শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে একটি অনাথ আশ্রম চালু করেছিলেন তিনি। আর সেই ভ্রমণেই তিনি ক্রোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ক্রোন হল অন্ত্রের গুরুতর প্রদাহজনিত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। মৃত্যুর সময় কটেনের বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। কটেনের উইল সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানায়, মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে গত ২৭ নভেম্বর মিটার স্কটেন একটি উইলে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার সম্পত্তির নির্বাহক বানিয়েছেন। সংবাদপত্রটির মতে, ওই উইলে তাদের দুটি কুকুরের যত্ন নেয়ার জন্য প্রায় ৭৬ হাজার ডলার সংরক্ষণ করার নির্দেশাবলী থাকলেও মিস্টার কটেনের মৃত্যুর পর তার কোয়াড্রিগার তহবিল পুনরুদ্ধারের কোন বিবরণ নেই। কোয়াড্রিগার ওয়েবসাইটে চলমান আইনী কার্যপ্রণালী সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা কোয়াড্রিগা নামের এই প্ল্যাটফর্মটি কটেনের মৃত্যুর পরেও ব্যবহারকারীর আমানত গ্রহণ করেছে বলেও অভিযোগ করছেন ইউজাররা। আদালতের নথিতে মিসেস রবার্টসন এমন কয়েকটা বিষয় নিশ্চিত করেন। কোয়াড্রিগা ঘোষণা করেছে যে, তাদের তথ্য পুনরুদ্ধার করা যাবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একজন তদন্তকারীকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু চলমান প্রচেষ্টায়, কটেনের কম্পিউটার এবং ফোন থেকে সামান্য কিছু তথ্য পাওয়া গেছে এবং কেবল কয়েকটি কয়েন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। টাকা তুলতে দেরি হওয়া নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগের মধ্যেই এই এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মটি গত সপ্তাহে তাদের অর্থের সুরক্ষার জন্য আবেদন করে। গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কোয়াড্রিগা জানায় যে, তারা তাদের তারল্য সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সির তহবিল নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর্নস্ট এবং ইয়ং নামের একটি প্রতিষ্ঠান পুরো বিষয়টিকে স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এবং এ বিষয়ে বর্তমানে নোভা স্কটিয়ার আদালতে প্রাথমিক শুনানি চলছে। বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম গত কয়েক মাসে আশ্চর্যজনক হারে পড়ে গেছে। ভরাডুবির মূল্য পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত, কোয়াড্রিগা গত বছর বড় ধরণের আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ে। কানাডিয়ান টিভি স্টেশন সিএনবিসি জানায় যে, তাদের তারল্য সমস্যা চলছিল এবং এই বছরের শুরুর দিকে সিআইবিসি ব্যাংক তাদের প্রায় দুই কোটি ডলারের তহবিল জব্দ করে দেয়। এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মটির এই সংকট পুরো ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলেছে। মুদ্রার মান উল্লেখযোগ্য হারে পড়ে গেছে। সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিপ্টোকারেন্সি-বিটকয়েনের দাম ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ২০ হাজার ডলার থাকলেও সেটা নামতে নামতে সাড়ে তিন হাজার ডলারে ঠেকেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রায়ই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি কানাডায় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অপ্রত্যাশিত ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটে যায়।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিস্টার জারিফ। ওই পোস্টে দায়িত্ব পালনকালে নিজের "ভুল-ত্রুটির" জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। ইরান এবং আন্তর্জাতিক ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিস্টার জারিফ। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সম্পৃক্ততা সরিয়ে নিয়ে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মিস্টার জারিফের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে । ৫৯বছর বয়সী মিস্টার জারিফ যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেনভার থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন। জাতিসংঘে ইরানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি । ইরানকে আরও উদার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানি নির্বাচিত হলে ২০১৩ সালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান মিস্টার জারিফ। পদত্যাগের পেছনে কারণ কী? বিষয়টি এখনো ততটা পরিষ্কার নয়। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের পোস্টে তিনি ইরানের সাধারণ মানুষের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিন্তু তার পর সবে যাবার কারণ হিসেবে কিছু লেখেননি। তিনি লিখেছেন, "পদে থেকে দায়িত্ব পালন চালিয়ে যেতে না পারার জন্য এবং সকল ব্যর্থতা ও ভুল-ত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা-প্রার্থী"। অন্যান্য বড় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মত ইরানে ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ নয়। প্রেসিডেন্ট রুহানি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি-না সেটি অবশ্য খোলাসা হয়নি এখনো। যদিও পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে- এমন খবর টুইট করে নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট-এর চীফ অব স্টাফ । আরও পড়ুন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? শাহ ও আয়াতোল্লাহ: ইরান বিপ্লবের ৪০ বছরে ফিরে তাকানো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে মিস্টার জারিফ দেশের ভেতরে হার্ড-লাইনারদের দ্বারা চাপের মুখে ছিলেন। এদিকে সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনির সাথে তেহরানে সাক্ষাত করেছেন, তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন সেখানে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার জারিফ ছিলেন না। সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটির সরকারের প্রধান সমর্থনকারী দেশের একটি ইরান। তেহরান সফরকে ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ছাড়া মিস্টার আসাদের প্রথম বিদেশ সফর মনে করা হচ্ছে। এটা কি নতুন কৌশল? জাভেদ জারিফের হঠাৎ পদত্যাগের ঘটনায় জল্পনা-কল্পনার ডালপালা ছড়িয়েছে। যে সময়টাতে ইরানকে নানারকম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তেমন সময় এই পদত্যাগ প্রেসিডেন্ট রুহানি মেনে নেবেন কি-না সেটি পরিষ্কার নয়। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য নির্ভর করছে সবোর্চ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনির ওপর । পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে একজন প্রধান ক্রীড়নক হিসেবে মধ্যস্থতা করলেও মিস্টার জারিফের সেই ভূমিকাকে কট্টরপন্থীরা কখনোই পছন্দ কিংবা বিশ্বাস করতে পারেনি। কিন্তু মিস্টার জারিফের পদত্যাগের বিষয়টি কি একধরনের কৌশল? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত নভেম্বরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। অথবা মার্কিন-মুল্লুকে উচ্চশিক্ষিত কূটনীতিকের বিদায় যিনি হয়ে উঠেছিলেন বাকি বিশ্বের সাথে ইরানের নতুন যোগাযোগের হাস্যোজ্জ্বল প্রতিনিধি। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্র দেশগুলোর সমন্বিত প্রচারের মুখে সামনের দিনগুলোতে তেহরানের পররাষ্ট্রনীতি কঠোর রূপ নিতে শুরু করবে, যেমনটা গত সপ্তাহে মিউনিখে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বর্ণনা করেছেন মিস্টার জারিফ নিজে। পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত ছিল ইরান তার কর্মসূচি কমিয়ে আনবে বিনিময়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে "ভয়াবহ" আখ্যা দেন এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির হেরফের করতে এটা খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। গতবছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার রে নেয়ার ঘোষণা দেন। অন্যান্য অংশীদাররা এই চুক্তিতে থাকার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন এবং মিস্টার জারিফ চুক্তিটি অক্ষত রাখার বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দেশটির পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বলে ইরান বরাবর দাবি করে আসছে। মিস্টার জারিফের ঘোষণার প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটারে লিখেছেন ইরানের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি "অপরিবর্তিত" থাকবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এই খবর তিনি ঘোষণা করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। দায়িত্ব পালনকালে নিজের "ভুল-ত্রুটির" জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: পাকিস্তানের সীমানায় ভারতের বোমা বর্ষণ বিমানে যা ঘটলো তার কী মূল্য দেবে বাংলাদেশ? গোল্ডেন রাইস: ভালো না খারাপ? ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার আবাসিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তায় যা ভুলবেন না
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এই খবর তিনি ঘোষণা করেছেন সামাজিক মাধ্যমে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দেশ 'মারাত্মক পরিস্থিতি'র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মি. জিনপিং। উহান শহরে প্রথম লক্ষ্মণ দেখা যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৫৬ জন মারা গেছে এবং প্রায় ২০০০ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। একাধিক শহরে ঢোকা এবং শহর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। রবিবার থেকে উহানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পত্রিকা পিপল'স ডেইলি জানিয়েছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি সেবাদানের লক্ষ্যে ১৩০০ শয্যাবিশিষ্ট দ্বিতীয় একটি হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু করা হবে এ সপ্তাহের মধ্যেই। এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। উহান শহর যে প্রদেশে অবস্থিত, সেই হুবেই প্রদেশে বিশেষজ্ঞ সেনা চিকিৎসা দল পাঠানো হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানের সব গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভাইরাস বিস্তার রোধ করা কেন কঠিন? যুক্তরাজ্যের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিস অ্যানালাইসিসের বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, চীনের ভেতরে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। তারা বলছেন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, যেটি এই ভাইরাসের এত বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারার 'একমাত্র যৌক্তিক ব্যাখ্যা।' বিজ্ঞানীদের অনুমান, একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে আড়াইজন মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। এই সংস্থাটি চীনা কর্তৃপক্ষের প্রয়াসের প্রশংসা করেছে, কিন্তু এরকম আশঙ্কাও প্রকাশ করছে যে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ছড়িয়ে পড়ার হার ৬০% কমাতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতে এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করা সহজ নয়। ভাইরাস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে এমন রোগীদেরও আলাদা করতে হবে যাদের মধ্যে সাধারণ সর্দিজ্বরের সামান্য লক্ষণও দেখা গেছে। অন্যদিকে, ল্যাংকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের ধারণা অনুযায়ী এবছরে ১১ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের অনুমান সত্যি হলে এই সংখ্যা সার্স'এ আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি। করোনাভাইরাসের কারণে চাপা আতঙ্কের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষ। করোনাভাইরাস কী? করোনাভাইরাস সংক্রমনের লক্ষ্মণ সাধারন সর্দিজ্বরের মতোই তবে এই ভাইরাস এর আগে কখনো দেখা যায়নি, তাই এটিকে বলা হচ্ছে ২০১৯-এনকভ, অথবা 'নভেল করোনাভাইরাস।' পশু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন ভাইরাস মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) শুরুতে ছড়িয়ে পড়েছিল বাদুরের মাধ্যমে এবং পড়ে তা বিড়াল জাতীয় প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হয়, যা সবশেষে মানুষের মধ্যে আসে। নতুন এই করোনাভাইরাসও শ্বাস-প্রশ্বাসকে সংক্রমিত করে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আরো খবর: সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না খাদ্যমন্ত্রী ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ভবিষ্যৎ কী? ইরানের হামলায় মার্কিন সেনাদের মস্তিষ্কে আঘাত চিঁড়ে নিয়ে হঠাৎ কেন সরগরম ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া
প্রাণঘাতী নতুন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের নববর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে করা এক বিশেষ বৈঠকে মন্তব্য করেছেন মিস্টার শি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
চীনের ওয়েইজু'র গ্র্যান্ড মসজিদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লেখক ও গবেষক ডেভিড স্ট্রাওপ মনে করেন, মানুষের ধর্মীয় রীতি অনুশীলনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে চীন। চীনের স্বশাসিত নিংজিয়া অঞ্চলের ছোট্ট মুসলিমপ্রধান শহর ওয়েইজু'তে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতার সাথে বর্তমান অবস্থার তুলনা করেন মি. স্ট্রাওপ। মি. স্ট্রাওপ লিখেছেন, "দু'বছর আগে যেই শহরটির মানুষজন আইন মেনে সচেতন নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করতো, কিন্তু মসজিদ ভাঙার চেষ্টার প্রতিবাদে এখন তারাই সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।" মসজিদ ভাঙার কারণ হিসেবে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এই মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা এবং নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এর জবাবে ওয়েইজু'র হুই মুসলিম সম্প্রদায়ের নাগরিকরা মসজিদ ভাঙার কাজ বন্ধ করতে সেখানে অবস্থান নেন। মানুষের বিক্ষোভের মুখে সরকার মসজিদটি পুরোপুরি না ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেও মসজিদ ভবনের আরবীয় নকশায় পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে। তবে তা করতে গেলেও ওয়েইজু'র ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হারিয়ে যেতে পারে এবং চীনের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বোধ এতে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে বলে মনে করেন মি. স্ট্রাওপ। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের শহর ওয়েইজু শহরের জনসংখ্যার ৯০ ভাগই হুই জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। গণমাধ্যমে তাদেরকে অনেকসময় চীনা মুসলিম বলে চিহ্নিত করা হয়। তবে চীনে হুই মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা অষ্টম শতাব্দীতে ট্যাঙ রাজবংশোদ্ভূত বলে ধারণা করেন মি. স্ট্রাওপ। চীনের মানুষের সাথে কয়েক শতাব্দীব্যাপী মিশ্রণের পর বর্তমানে চীনের সংখ্যাগুরু হান সম্প্রদায়ের সাথে তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যে খুব একটা পার্থক্য চোখে পড়ে না। ঐ শহরে থাকার সময় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মি. স্ট্রাওপ উল্লেখ করেন যে শহরের অধিকাংশ নারীই হিজাব পরেন এবং অধিকাংশ পুরুষই মুসলিমদের প্রার্থনার সময় সাদা টুপি পরে থাকেন। মি. স্ট্রাওপ লিখেছেন, "শহরের প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিদিনের প্রার্থনার জন্য মসজিদে যেতো। শহরের খাবার দোকানগুলোতেও শুধুমাত্র হালাল খাবার বেচাকেনা হতো।" মি. স্ট্রাওপের মতে, শহরের কোনো দোকানে মদ জাতীয় পানীয় বিক্রি হতো না। আরো পড়তে পারেন: শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে যেমনটা ছিল ভারতের প্রতিক্রিয়া বিলি না করে চিঠি ফেলে রাখতেন যে পোস্টমাস্টার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা লুমা আটক চীনের বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি হুই সম্প্রদায় (ফাইল ছবি) ধর্মীয় আচারের বিরুদ্ধে অভিযান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার হুমকির সম্ভাবনা রোধ করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং'এর নির্দেশনায় বিভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। নিরাপত্তার অজুহাতে এধরনের অভিযান চালায় সরকার। তারা দাবী করে ধর্মীয় জঙ্গীবাদের উত্থান ঠেকাতে এই ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা গুরুত্বপূর্ণ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ১৯তম কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেন দলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে চীনের সব ধর্ম যেন চীনের প্রাতিষ্ঠানিক মূলধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং ধর্মগুলো যেন সমাজতান্ত্রিক ধারার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই বক্তব্যের পর চীনের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় সরকার ধর্মীয় রীতি পালনে নানাভাবে বাধা দিয়ে আসছেন। এই অভিযানের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চীনের মুসলিম সম্প্রদায়। সবচেয়ে বড় উদাহরণ, চীনের উত্তর-পশ্চিমের জিনজিয়াং এ উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান। হিজাব পরা বা সামাজিক মাধ্যমে কোরানের বাণী প্রচার করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ ছড়ানোর অভিযোগ আনে ঐ অঞ্চলের স্থানীয় সরকার। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে উইঘুর জাতির প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আটক করে রাখা হয়েছে। (ড. ডেভিড আর. স্ট্রাওপ যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গবেষণা বিভাগের শিক্ষক। চীনের রাজনীতি, জাতীয়তাবাদ ও জাতিগত রাজনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি।)
কয়েকদিন আগে চীনের একটি শহরে পরিকল্পিতভাবে একটি মসজিদ ভাঙার চেষ্টা করার পর ঐ অঞ্চলের মুসলিম বাসিন্দারা এর বিরোধিতা করলে কিছুটা বিপদেই পড়ে কর্তৃপক্ষ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পেঁয়াজের মালা গলায় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লিতে বিরোধীদল কংগ্রেসের বিক্ষোভ। কলকাতা আর পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু বাজারে পেঁয়াজের এই দামই নেওয়া হচ্ছে। কোথাও সেটা দশ টাকা কম। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে সবজি বিপণন ব্যবস্থা আছে, সেখানে প্রতি কিলো ৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ৮৮ টাকায় কেনা ওই পেঁয়াজ ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঐ সরকারি দোকান আর চলমান ভ্যান হাতে গোনা, যার ফলে সাধারণ মানুষকে ১৫০ বা ১৪০ টাকা দিয়েই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ওদিকে দিল্লিতেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা পেরিয়েছে। সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে বিরোধীরা সংসদে সরব হয়েছে। সরকার বলছে, যেখানে পেঁয়াজ চাষ সবচেয়ে বেশি হয়, সেই মহারাষ্ট্রে ব্যাপক বন্যার ফলে উৎপাদন মার খেয়েছে। সরকার কম দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। সরকারি ভ্যানে স্বল্পমূল্যের পেঁয়াজের জোগান অনেক কম। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? বাংলাদেশ চাহিদামতো পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারছে না কেন আর অন্যান্য এলাকায় যারা পেঁয়াজ চাষ করেন, তারা বলছেন কয়েক মাস আগেও ছয়-সাড়ে ছয় টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ক্ষেত থেকে। সেই দরে অবশ্য চাষিদের লাভ প্রায় কিছুই থাকে না। তবু সেই পেঁয়াজই মুজত করে এখন আগুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে বা খুচরো দোকানে পেঁয়াজের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলেই সন্দেহ রয়েছে। বাজারের চাহিদা পূরণে ভারত নিজেই বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। বুধবার তুরস্ক থেকে বড়সড় এক চালান এসে পৌঁছেছে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে, যে চালানে ১১,০০০ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে। পেঁয়াজ বিপণনের দায়িত্বে আছে ন্যাফেড বলে যে সরকারি এজেন্সি, তাদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৮০০ টন পেঁয়াজ আনার অর্ডার পেশ করেছে বলে রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ঐ পেঁয়াজ মুম্বাই বন্দরে ৫৫ টাকা কিলো দরে আনা হবে, যার সঙ্গে পরিবহন খরচ প্রভৃতি যোগ করে কলকাতায় তা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে পিটিআই জানাচ্ছে। পেঁয়াজ যত দুর্মূল্য হচ্ছে, ততই পেঁয়াজ চুরিও বেড়ে গেছে। ফসল বাঁচাতে রাতে ক্ষেত পাহারা দিতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষীদের। এখানে চন্ডিগরের এক ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন যাতে পেঁয়াজ চুরি না হয়। আবার পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি মুদি দোকান থেকে গত সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পেঁয়াজ চুরি হয়ে গেছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুতাহাটা এলাকার ওই দোকানের তালা ভেঙ্গে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ অর্থ বা অন্য কিছুই চুরি হয়নি। চোরেরা নিয়ে গেছে শুধু ১০ বস্তা পেঁয়াজ। আবার পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠায় বর্ধমান জেলায় এক বিয়েতে নবদম্পতি বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন ৩০ কিলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নানা মীম আর পোস্টারও। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: আত্মীয় না হলেও দেয়া যাবে কিডনি, আদালতের রায় খালেদার জামিন শুনানি পিছিয়েছে, আদালতে হট্টগোল ভারতে ধর্ষণের শিকার আরেক নারীর গায়ে আগুন
পেঁয়াজের দাম পশ্চিমবঙ্গের বাজারে প্রতি কিলো ১০০ টাকা ছুঁয়েছিল আগেই। কিন্তু হঠাৎই বুধবার থেকে সেই দাম বেড়ে ১৫০ টাকা কিলো হয়ে গেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ডেঙ্গু এড়াতে কী করতে হবে, তা জানেন না অনেকেই। তিনি বলছেন, তার বাসার সাথে বাগানে কাজ করেছিলেন তার পরিবারের একজন সদস্য। পরে হাসপাতালে নিয়ে নিশ্চিত হন যে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। "অনেক জ্বর এবং পরে মুখ দিয়ে রক্তও গেলো। আমরা কোনো ঝুঁকি নেইনি। হাসপাতালে ভর্তি করেছি।" এই রোগীর মতো ঢাকায় ১২ই জুলাই পর্যন্ত আরও ৭৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। তবে গতকাল ২৩শে জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৩জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি নিয়ে এখনো খুব বেশি উদ্বিগ্ন হতে রাজী নন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সাব্রিনা। ঢাকার পয়োব্যবস্থায় মশার বসত। "কেস বেশি হচ্ছে, কিন্তু প্যানিক হওয়ার কিছু নেই। ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সবাই এখন জানে। হাসপাতালগুলোতে নজরদারি আরও শক্তিশালী হয়েছে। সেজন্যই ঢাকার বাইরের কেসগুলো জানা যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে মশা এখন ততটা উদ্বেগের বিষয় না।" তবে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের জন্য বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে সবার আরও সচেতনতার ওপর জোর দেন তিনি। এডিস মশা বৃদ্ধির প্রধান দুটি কারণ মশা নিয়ে গবেষণা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তার মতে, এবার সচেতন হওয়া বেশি জরুরি কারণ কয়েকটি কারণে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। "এবার ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হয়েছে। এডিস মশার ডিম ছয়মাস পর্যন্ত শুকনো স্থানে থাকলে বেঁচে থাকতে পারে। এবার আগে বৃষ্টির কারণে ও এখন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ছে।" আবার ঢাকাসহ সারাদেশে পানির স্বল্পতার কারণে মানুষ বালতি কিংবা ড্রামে পানি জমিয়ে রাখে। আর বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজের সাইটগুলোতে চৌবাচ্চা, ড্রাম এডিস মশার বিস্তারে প্রধান ভূমিকা পালন করছে, বলে মনে করেন তিনি। সে কারণেই দেশজুড়ে জেলা উপজেলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ায় মি. বাশার মনে করছেন নির্মাণ সাইটগুলোতে পানি জমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে। মফস্বল এলাকাগুলোতে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে তেমন কোন উদ্যোগ নেই বললেই চলে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: 'ধর্ষণের বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়' ইরাকে পুরুষরাই কি যৌন হয়রানির প্রধান লক্ষ্য? ম্যান অফ দা টুর্নামেন্টের দৌড়ে এগিয়ে কারা? কিন্তু ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ে প্রচার প্রচারণা কিছু চোখে পড়লেও ঢাকার বাইরে বিশেষ করে মফস্বল এলাকাগুলোতে এ নিয়ে তেমন কোন উদ্যোগ নেই বললেই চলে। কুষ্টিয়ার শিরিন সুলতানা বলছেন, তাদের এলাকায় প্রচুর মশা। কিন্তু মশা নিধনের কোনো ব্যবস্থা তিনি কখনো দেখেননি। "স্প্রে বা কয়েল জ্বালানো ছাড়া টেকা যায়না কিন্তু আমি কখনো দেখিনি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে কোনো কিছু করা হচ্ছে।" তবে ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশন থেকে সতর্কতামূলক প্রচারের পাশাপাশি মশা মারতে ঔষধ দিতে দেখা যায় মাঝে মধ্যে। দুটি কর্পোরেশন থেকেই বলা হচ্ছে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, মশা প্রতিরোধে সবার সচেতনতাই একমাত্র উপায়। তবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করেছেন তারা। "যে পরিস্থিতি এখন বিদ্যমান তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সারা দেশে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।" তিনি বলেন, ঢাকা বা ঢাকার বাইরে যেখানেই কারও জ্বর হলেই বিলম্ব না করে হাসপাতালে যেতে হবে আর এটি করা হলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির ভয় বা আতংকের কিছু নেই।
ঢাকার অধিবাসী মমতাজ শাহিন খান। তার পরিবারের একজন সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন চিকিৎসাধীন আছেন।