instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অনেকে মনে করেন বাদুড় থেকে বর্তমান করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। কোভিড-১৯ এর মতো রোগের বৃদ্ধির জন্য তারা প্রাণীজাত প্রোটিন বা আমিষের তীব্র চাহিদা, পরিবেশের কথা বিবেচনা না করে করা কৃষিকাজ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, এধরনের রোগের ব্যাপারে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না, কিন্তু এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব রোগের কারণে আর্থিক ক্ষতিও কম নয়। বলা হচ্ছে, কোভিড-১৯ রোগের ফলে আগামী দু’বছরে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইবোলা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এবং সার্স – এসবও জুনটিক রোগ। এগুলো শুরু হয়েছে প্রাণী দেহে, পরে সেখান থেকে ছড়িয়েছে মানবদেহে। কিন্তু প্রাণী থেকে এসব রোগ মানুষের মধ্যে আপনা-আপনি আসে না। ব্রাজিলে বাঁধ ভেঙে একটি বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশ ও গবাদিপশু সংক্রান্ত গবেষণা ইন্সটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব ভাইরাস মানবদেহে আসে প্রাকৃতিক পরিবেশে হস্তক্ষেপের কারণে। এসব হস্তক্ষেপের মধ্যে রয়েছে জমির ক্ষতিসাধন, বন্যপ্রাণীর ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। গবেষকরা বলছেন এসবের কারণে মানুষ ও প্রাণীর সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটছে। “গত শতাব্দীতে আমরা অন্তত ছয় বার নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখেছি,” বলেন ইঙ্গার এন্ডারসেন, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব এবং পরিবেশ কর্মসূচির প্রধান নির্বাহী। “কোভিড-১৯ এর আগে গত দুই দশকে জুনটিক রোগের কারণে ১০০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।” তিনি বলেন, “এ ধরনের রোগে প্রত্যেক বছর নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব অসুখের মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্স, বোভাইন যক্ষা এবং জলাতঙ্ক।” তিনি বলেন, গবাদিপশুর ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীলতা এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এসব ঘটছে। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে মিস এন্ডারসেন এরকম একটি উদাহরণ টেনে বলেন যে গত ৫০ বছরে মাংসের উৎপাদন ২৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। “আমরা কৃষিকাজ বাড়িয়েছি, বনাঞ্চলে অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে সেখান থেকে সম্পদ আহরণ করছি।” তিনি বলেন, “মানুষের শরীরে যতো সংক্রামক রোগ হয় তার ২৫ শতাংশের সাথে বাঁধ, সেচ, কারখানা, খামারের সম্পর্ক রয়েছে। ভ্রমণ, পরিবহন এবং খাদ্য সরবরাহের চক্র - এসবের ফলে সীমান্ত ও দূরত্ব মুছে গেছে। জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনও দায়ী।” ভবিষ্যতে এধরনের মহামারি ঠেকাতে কী ধরনের কৌশল নিতে হবে সেবিষয়ে সরকারগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে জমির পরিকল্পিত ব্যবহার, জীব বৈচিত্র বাড়ানো এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরো বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। “বিজ্ঞানে এটা স্পষ্ট যে বন্যপ্রাণীর যথেচ্ছ ব্যবহার এবং পরিবেশ ধ্বংস করার কারণে মানবদেহে জুনটিক রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।” তিনি বলেন, এসব বন্ধ করা না হলে আগামীতে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগের প্রবাহ বাড়তেই থাকবে। “ভবিষ্যতে এসব রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হতে হবে।” বিবিসি বাংলায় আরো খবর: একদিনে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু বান্দরবানে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ছয়জন করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন | প্রাণী থেকে যেসব রোগ মানুষের শরীরে আসে বিজ্ঞানের পরিভাষায় সেগুলোকে বলা হয় জুনটিক রোগ এবং বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে এধরনের রোগের সংখ্যা আরো বাড়তেই থাকবে বলে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | শহিদুল আলম এর আগে বৃহস্পতিবার তার জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। অগাস্ট মাসে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চলার পঞ্চম দিনে শহিদুল আলমকে পুলিশ আটক করে। মুক্তির পর বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে মি. আলম বলেন, "মুক্ত বাতাসে নি:শ্বাস নিচ্ছি। তবে আমি ভেতরে থাকার সময় দেশে-বিদেশে প্রত্যেকে এবং আমার আইনজীবীরা মিলে যে অসাধারণ আন্দোলন করেছেন - সেটা প্রকাশ করা কঠিন।" "এতগুলি মানুষ শুধু আমাকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে ভালোবাসে - এটাই আশার জায়গা।" "আমি সত্য কথা বলায় বিশ্বাস করি এবং সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই বলা দায়িত্ব" - বলেন তিনি। এ বছর আগস্ট মাসে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে শহিদুল আলম ইন্টারনেটে ভিডিও বক্তব্য ও আল-জাজিরা টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট কেন বাংলাদেশের শহীদুল আলমের পাশে ভারতের রঘু রাই? শহিদুল আলমের গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ টিভি তারকা কনি হক মি. আলমের বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে 'ইন্টারনেটে ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়াতে কল্পনাপ্রসূত উস্কানিমূলক মিথ্যা তথ্য' প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। মি: আলমের আইনজীবী সারা হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, হাইকোর্টে জামিন দেবার ক্ষেত্রে আদালত যা বিবেচনা করেছে তা হলো - মি: আলমের বিপক্ষে পুলিশ যে এফআইআর দাখিল করেছে সেটির সাথে আল-জাজিরাতে তাঁর দেয়া সাক্ষাৎকারের কোন মিল নেই। শহিদুল আলমের মুক্তি দাবি করে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, ফটোগ্রাফার রঘু রাই, ব্রিটিশ টিভি তারকা কনি হক সহ দেশ-বিদেশের অনেক ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। | বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আটক হওয়া সুপরিচিত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম ১০৮ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে অমর একুমে গ্রন্থমেলা কিন্তু পরিচিত লেখকদের পাশাপাশি এই বইমেলায় নতুন বা অপেক্ষাকৃত নতুন লেখকেরা কতটা উঠে আসতে পারছেন? "বাংলাদেশের নতুন লেখকদের কিছু প্রতিবন্ধকতাতো রয়েছে। প্রকাশকরা তার পেছনেই বেশি ছুটছেন, যাদের বই বেশি কাটতি হয়। আমাদের মত নতুনদের জন্য খুবই কঠিন একটি জায়গা"। বলেন নতুন লেখকদের একজন সৈয়দ জাহিদ হাসান। যদিও তিনি বলছেন, তার অভিজ্ঞতা তুলনামূলক ভাল। প্রকাশক তার বইয়ের প্রচারণা চালিয়েছেন। এই বইমেলায় তার লালনবিষয়ক একটি গবেষণামূলক গ্রন্থসহ একাধিক বই প্রকাশিত হচ্ছে। বইমেলায় কথা হল আরেকজন নতুন লেখক আরজু নাসরিন পনির সাথে। তার লেখা দ্বিতীয় বইটি বের হয়েছে এই বইমেলায়। একটি গল্প সংকলন। সৈয়দ জাহিদ হাসান (বাঁয়ে) এবং আরজু নাসরিন পনি (ডানে) তিনি বলছিলেন, প্রকাশনা সংস্থা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের কিছু প্রচারণা চালালেও নতুন লেখকদের জন্য বইমেলা চলাকালে নতুন পাঠকদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ কম। নতুনদের বই এবং লেখকের নামের সাথে বই সম্পর্কে কিছুটা তথ্যও যদি পাঠকদের দেয়া যায় তাহলে হয়তো পাঠকদের নতুন লেখকদের সম্পর্কে আগ্রহ বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। তবে নতুন লেখকদের পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ যে খুব কম তা মনে করেন না আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি। তার মতে, মূল সমস্যাটি হল এখনকার লেখকদের একটি বড় অংশ শুধুমাত্র লেখক পরিচয়ের জন্যই বই লিখছেন। যাদের লেখার অধিকাংশ বই হিসেবে গণ্য করা যায় না। "ছোট বা বড় সব প্রকাশকের তালিকায় এখন নতুন লেখকের সংখ্যা অনেক বেশি, পুরনো লেখকদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে" বলেন মি. গনি। "এই যে নতুন লেখকদের পাঠকরা খুঁজে পাচ্ছেন না। তারা পত্র-পত্রিকায় তো লিখছেন না। সেখানে লিখে তাদের কলমকে শাণিত করতে হবে। সেটাতো তারা করছেন না। প্রচারের জন্য তাদের নিজেদেরও ভূমিকা আছে"। নতুন লেখকদের প্রচারণার বিষয়ে মি. গনির মতামত। আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি এই প্রকাশক বলছেন, মানহীন বই কিনে অনেকসময় পাঠকেরা প্রতারিত হচ্ছেন এবং নতুন লেখকদের ওপর আস্থাও হারাচ্ছেন কিন্তু মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা এতটা কম হবার কারণ কি? বইমেলায় যে লেখকদের বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়, তাদের একজন সাহিত্যিক আনিসুল হক। তিনি বলছিলেন, বইমেলা নতুন লেখকদের বেশ কিছু ভালো বই প্রকাশিত হলেও, অনেক বইয়ের লেখকরা পুরোপুরি তৈরি না হয়েই লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছেন। "বইমেলা না থাকলে নতুন লেখকদের জন্য নিজের প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করা আরো কঠিন হতো। বইমেলায় যদি চার হাজার বই যদি বেরিয়ে থাকে, তার মধ্যে ক'টা মানসম্মত, ক'টা পাঠকের কাছে গেছে এবং লেখক কী পেলেন? স্বীকৃতিও পেলেন না, বইটা বিক্রিও হল না" "অনেকসময়ই হতাশা ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না" বলেন আনিসুল হক। লেখক আনিসুল হক সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলছেন, এভাবে মানহীন লেখা এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে এতোগুলো বই প্রকাশের ফলে পাঠকেরা শুধুমাত্র জনপ্রিয় এবং পরিচিত লেখকদের দিকেই ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে, অনেক প্রকাশকের লেখকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বই প্রকাশের প্রবণতা। "প্রকাশকের দায়িত্ব ভালো পাণ্ডুলিপি বেছে বই বের করা। বই বের করার সময় আমি দেখবো যে সেই লেখকের বই প্রকাশযোগ্য কিনা। কিন্তু আমি যদি টাকা নিয়ে বই বের করে দেই, তাহলে সেটা জাতির জন্য খুব দু:খজনক"। নতুন লেখক, বিশেষ করে প্রবাসী লেখকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে এধরণের বই প্রকাশের প্রবণতা বেশি দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন লেখক-প্রকাশকরা। অর্থের বিনিময়ে বই প্রকাশের এই সংস্কৃতি পাঠকদের আস্থাহীনতার একটি বড় কারণ হিসেবে মনে করছেন তরুণ লেখক সৈয়দ জাহিদ হাসান। সময় প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ মানহীন বইয়ের কারণে পাঠক যেমন আস্থা হারালেও, মানসম্মত বইয়ের তথ্যও সব পাঠকের কাছে পৌঁছাছে তেমনিও নয়। প্রকাশকরা বলছেন, তারা হয়তো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, কিন্তু শুধুমাত্র তার মাধ্যমে পাঠককে বই সম্পর্কে জানানো যাবে না। লেখক আনিসুল হক মনে করেন, নতুনদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এখানে সমালোচনা সাহিত্য গড়ে না ওঠাটা একটি বড় সমস্যা। "পত্রিকার সাহিত্য পাতায় হয়তো কিছু বইয়ের আলোচনা করে। কিন্তু সেটাও বিখ্যাত লেখক হতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ লেখা হতে হবে অথবা যেটা হয় একদমই খাতিরে পরিচিত লেখকদের সুযোগ দেয়া। যার ফলে, নতুন লেখক ভালো লিখলেও তার পক্ষে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন" বলেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনার দিকে নজর না দেয়াটাও আরেকটি সমস্যা। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বইমেলা কিন্তু নতুন লেখকদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বইমেলা যারা আয়োজন করে, সেই বাংলা একাডেমি কতটা ভূমিকা রাখছে? বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলছেন, তারা এবারের মেলায় নতুন বইয়ের প্রদর্শনশালা করেছেন, যেখানে পাঠকরা নতুন বইগুলো দেখতে এবং পড়তে পারেন। এছাড়া মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রকাশিত বই নিয়ে কেউ আলোচনা অনুষ্ঠান করতে চাইলে তাতেও তারা সাহায্য করতে পারেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান তবে নতুন লেখকদের জন্য সবটাই হতাশা নয়, আশার কথাও বলছেন লেখক-প্রকাশকরা। "যদি প্রকৃতপক্ষে কোন লেখক ভাল লেখেন, তাহলে তার সেই প্রতিভা চাপা থাকবে না। মানুষ এটা জেনে যাবেন"। বলেন লেখক আনিসুল হক। | বাংলাদেশে প্রতিবছর সৃজনশীল বইয়ের সিংহভাগ প্রকাশিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকেই। জনপ্রিয় এবং পুরনো লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকরাও প্রথাগতভাবে বইমেলাতেই তাদের বইটি প্রকাশ করেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার আগে ও পরবর্তী সময়ে নানা সংকটের মুহূর্তে জনমুখী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ার ইতিহাস রয়েছে এসব সংগঠনের। তবে সেই অতীত ইতিহাস ছাপিয়ে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়তে থাকে। যার সর্বশেষ উল্লেখ মেলে চলতি মাসে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর। কিন্তু প্রশ্ন হলো - ছাত্র বা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এই দলগুলো আসলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তহবিল কীভাবে সংগ্রহ করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রায় প্রতিটি দলের তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে দলের সদস্যদের নির্দিষ্ট হারে চাঁদা ধার্য এবং অনুদান থেকেই আসে মূল অর্থায়ন। তবে এছাড়াও আরো কিছু উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে এসব ছাত্র সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে দলীয় সদস্যদের চাঁদাকেই মূল ধরা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের জন্য বিভিন্ন হারে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: দায় কি শুধু ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাদের? বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট দায় কি শুধু ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাদের? এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্য মাসিক ২০ টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ১৫ টাকা, জেলা কমিটির সদস্যরা ১০টাকা এবং নিম্নতম কমিটির সদস্যরা মাসিক ৫ টাকা হারে চাঁদা দেবেন। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, "দলের তহবিলে সদস্যদের মাসিক হারে ৫ টাকা করে চাঁদা দেয়ার নিয়ম রয়েছে।" চাঁদা ছাড়াও এককালীন অনুদান, সদস্য ফি এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন পুস্তিকা বা বই বিক্রি করেও সংগঠনের তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে এই গঠনতন্ত্রে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিএনপি দলের ছাত্র সংগঠনটির নাম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার জানান, ছাত্রদলের লিখিত কোন গঠনতন্ত্র নেই। খসড়া গঠনতন্ত্রে সদস্যদের চাঁদা দিতে হবে এধরণের কোন উল্লেখ নেই। তিনি জানান, গঠনতন্ত্রটি খসড়া হওয়ার কারণে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এটিতে পরিবর্তন আনা হয়। তবে তহবিলে সংগ্রহের ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের উপরই নির্ভর করতে হয়। নেতা-কর্মীদের চাঁদা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। তবে দলের বা শুভাকাঙ্ক্ষী যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে সাহায্য করতে চান সেটা গ্রহণ করা হয় বা বিবেচনাধীন থাকে বলে জানান তিনি। তবে লিখিত গঠনতন্ত্র না থাকায় সংগঠনটির একেকটি ইউনিট একেক ভাবে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে বলেও জানান তিনি। তবে ছাত্রদলের একজন কর্মী মানসুরা আলম বলেন, তিনি কখনো চাঁদা দেননি। তিনি বলেন, "সদস্য হওয়ার সময় ১০০ টাকা করে ফি দিতে হয়। সেটা জানি। কিন্তু দলের তহবিলে আমি কখনো কোন চাঁদা দেইনি। কমিটির কাউকে চাঁদা দিতে হয় কিনা সেটাও জানি না।" বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদজানান, দুইভাবে সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে থাকেন তারা। এরমধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গণ চাঁদা সংগ্রহ করার কথা জানান তিনি। এছাড়া রাস্তায় হকার বা ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকেও গণ চাঁদা আদায় করা হয়। তবে এটির হার কখনোই নির্ধারণ করে দেয়া হয় না। ৫ টাকা থেকে শুরু ১০০টাকা পর্যন্ত বা যার যা ইচ্ছা সে হারেই চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত দলের কোন বড় কর্মসূচী বা সম্মেলনকে সামনে রেখে এ ধরণের চাঁদা আদায় করে থাকেন তারা। আর নিয়মিত চাঁদা দেয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে। এছাড়া সংগঠনের সাবেক সদস্য যারা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়, বিবিসি বাংলাকে জানান তিনি। এছাড়া দলের কমিটিতে যে সদস্যরা থাকেন তাদের কাছ থেকেও মাসিক হারে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে বলেন মি. মাহমুদ। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী জানান, তিন উপায়ে দলের তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হচ্ছে গণ চাঁদা, সাবেক চাঁদা এবং প্রকাশনা থেকে আয়। তিনি বলেন, ছাত্র চাঁদা বা গণ চাঁদা যা মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। সাবেক সদস্যদের কাছ থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চাঁদা আদায় করা হয়। এর আওতায় রয়েছে শুভানুধ্যায়ী চাঁদা। সংগঠনটির প্রকাশনা থেকে প্রাপ্ত আয় দলীয় তহবিলে জমা হয়। এছাড়া ওই প্রকাশনায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের অর্থও যোগ হয় দলীয় তহবিলে। তিনি বলেন, "বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো তহবিল সংগ্রহ করা।" ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এদিকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্মকৌশলে উল্লেখিত অর্থব্যবস্থায় বলা হয়েছে এ আন্দোলনের সর্বস্তরে বায়তুল মাল বা অর্থ তহবিল থাকবে। এর উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, "সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এয়ানত ও এককালীন দান এবং প্রকাশনার মুনাফা হবে বায়তুল মালের উৎস।" এছাড়া অধস্তন শাখাগুলো নিয়মিতভাবে বায়তুল মাল থেকে নির্ধারিত অংশ ঊর্ধ্বতন শাখায় দিতে বাধ্য থাকবে। দলটির নেতাকর্মীদের এককালীন দান তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেরাই নির্ধারণ করে থাকেন বলে জানা যাচ্ছে। | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। এখন বিভিন্ন দলের ছাত্র সংগঠনগুলো নতুন করে আলোচনায় এসেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ''ইতিমধ্যে আমি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে বলেছি, সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি, (বিস্ফোরণের) কারণটা খুঁজে বের করতে হবে।'' শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় নারায়ণগঞ্জের মসজিদের ওই বিস্ফোরণে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। সংসদে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, সারা দেশের অন্যান্য মসজিদের নিরাপত্তার বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা দরকার। ''সারা বাংলাদেশেই মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছামত এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেটা আদৌ একটা স্থাপনা করবার মতো জায়গা কিনা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া বা সেখানে নকশাগুলো করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়গুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। নইলে এ ধরণের ঘটনা-দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।'' আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ''আরেকটা বিষয় হলো মসজিদে সবাই দান করে। আজকাল সবার পয়সা আছে, এয়ার কন্ডিশন দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বা লাইন কতটা নিতে পারবে, সেই ক্যাপাসিটি ছিল কিনা, সার্কিট ব্রেকার ছিল কিনা, সব বিষয়গুলো দেখতে হবে।'' আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে বিশাল অঙ্কের মসজিদ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে কেন? করোনাভাইরাসের কারণে বদলে গেল আজানের বাণী করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে মসজিদে নামাজ নিয়ে কী হবে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, সারা দেশের অন্যান্য মসজিদের নিরাপত্তার বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা দরকার। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ''এটা খুবই দুঃখজনক যে নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদে এ ধরণের একটা বিস্ফোরণ ঘটলো।'' ''ওইটুকু একটা জায়গায় ছয়টা এসি লাগানো, আবার শোনা যাচ্ছে গ্যাসের লাইনের ওপরেই নাকি মসজিদটি নির্মাণ হয়েছে। সাধারণত যেভাবে গ্যাসের পাইপলাইন থাকে, সেখানে কিন্তু কোন নির্মাণ কাজ হয় না। আমি জানি না, রাজউক এতে পারমিশন দিয়েছে কিনা, এ ধরণের পারমিশন তো দিতে পারেনা, দেয়া উচিৎ না। কারণ সবসময়েই খুব একটা আশঙ্কা থাকে। সেটাই এখন তদন্ত করে দেখা হবে।'' তিনি বলছেন। তিনি জানান, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গেছেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করছেন। এই ঘটনা কেন ঘটলো, কিভাবে ঘটলো, সেই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বিস্ফোরণে যারা মারা গেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। যারা আহত অবস্থায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জন বাড়িতে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সম্ভাব্য যে দুর্ঘটনা থেকে যেভাবে সাবধান থাকবেন স্কুলে যেতে যে শিক্ষককে প্রতিদিন পাড়ি দিতে হয় ৪৪ কিলোমিটার পথ যুক্তরাষ্ট্রে তিক্ততা, বিভাজন আর আক্রমণের নির্বাচন | বাংলাদেশে যেসব মসজিদ গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলো স্থাপনা করার মতো জায়গায় কিনা অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ডেরা শহরের উত্তরে নাওয়া এলাকাতেও সরকার সমর্থিত বাহিনী বিমান হামলা চালায় একটি দাতব্য চিকিৎসা সেবাদানকারী সংস্থা ও একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানিয়েছে, ডেরা শহরের পূর্বে সাইদা, জিযাহ ও মুসাইফিরা অঞ্চলে রাতে বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল অধ্যূষিত গোলান হাইটস এলাকা ও জর্ডানের সীমান্ত এলাকায় আক্রমণগুলো চালানো হয়। গত এক সপ্তাহের যুদ্ধে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ এলাকাচ্যুত হয়েছে। ডেরা ও কুইন্টেরা প্রদেশ গত একবছর ধরে অপেক্ষাকৃত সংঘর্ষমুক্ত ছিল। জর্ডানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমান্বয়ে সংঘাত কমিয়ে আনার চুক্তির কারণে এতদিন ঐ অঞ্চল অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল। সিরিয়া সরকারের অন্যতম প্রধান মিত্র রাশিয়াকে সমর্থন দেয় জর্ডান। তবে এপ্রিলে পূর্ব ঘৌতা'র বিদ্রোহীদের পরাজিত করার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ঐ অঞ্চলেরও দখল নিতে মনস্থির করেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিমান হামলার পর সাইদা শহরের হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানায়, মুসাইফিরা'র হাসপাতালে আঘাত করে রুশ যুদ্ধবিমান। হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরে জিযাহ'র হাসপাতাও রুশ যুদ্ধবিমানের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আরো পড়ুন: ফিরে দেখা: সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর সিরিয়া নিয়ে কি পরাশক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাধবে? সিরিয়া নিয়ে আসলে কি করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প ? জাতিসংঘ বলেছে ডেরা'র বাস্তুচ্যুত মানুষের আতিস্বত্তর মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এর আগে হাসপাতালে আক্রমণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয়ান ও রুশ সেনাবাহিনী। তবে জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ তদন্তকারীরা তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সুরক্ষিত হাসপাতালগুলোতে কৌশলগতভাবে আক্রমণ করার অভিযোগ এনেছেন। পূর্ব ঘৌতায় সম্প্রতি সেবার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপরও ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করার অভিযোগ আনা হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সরকার সমর্থিত বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ১৭ই জুন অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ৪৬ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হলেন। অন্তত ৩৯ জন বিদ্রোহী ও সরকার সমর্থিত বাহিনীর ৩৬ জন সেনাসদস্যও মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে, ডেরা'য় বিমান হামলা ও গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষ তাদের ঘড় ছেড়ে জর্ডান ও গোলান হাইটসের দিকে পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, আশ্রয়হীন মানুষের অতিস্বত্তর মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সীমান্ত অঞ্চলে কিছুদিনের মধ্যেই সঙ্কট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ জর্ডান এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর কোনো শরণার্থীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। ২০১১'তে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জর্ডানে প্রায় ১৩ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী প্রবেশ করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সিরিয়ার পরিস্থিতি আসলে কোন পর্যায়ে আছে? শিরোপাধারীর 'অভিশাপে' জার্মানি ছিটকে পড়লো? 'ব্রাজিলের খেলা দিনের পর দিন পরিণত হচ্ছে' বিবিসির চোখে: কেমন হলো গাজীপুরের নির্বাচন | দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকায় সরকার সমর্থিত বাহিনীর বিমান হামলায় তিনটি হাসপাতালে সেবাদান কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | হেফাজতে ইসলাম গত ২রা নভেম্বর ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ করেছিল ঢাকায়। আহমদ শফীর মৃত্যুর পর এটি সংগঠনটির বড় শোডাউন ছিল। সংগঠনটির প্রয়াত আমীর আহমদ শফীর অনুসারীরা এই সম্মেলনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেছেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ থেকে হেফাজতে ইসলামকে ভাঙনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের বিরোধীরা আগামী রোববার চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এই প্রতিনিধি সম্মলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা বলেছেন। তারা দাবি করেন, কিছু লোক ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু প্রতিনিধি সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ হবে। আরও পড়ুন: আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলামের ভবিষ্যত নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে এখন একটি অংশ প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করেছে রোববার চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসায়। সেই সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সারাদেশ থেকে ৫০০ প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে এর আয়োজকরা জানিয়েছেন। কিন্তু আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী সংগঠনটির এখনকার কমিটির প্রচার সম্পাদক। তিনি এবং কমিটির নায়েবে আমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের অনুসারী যারা রয়েছেন, তাদের কাউকেই সম্মেলনে ডাকা হয়নি। এই পটভূমিতে সংগঠনটিতে বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। হেফাজতে ইসলামীর প্রয়াত আমীর আহমদ শফী। আহমদ শফীর অনুসারী হিসাবে পরিচিত এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা মঈনউদ্দিন রুহী বলছেন, কোন কমিটিতে আলোচনা ছাড়া ব্যক্তির রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কারণে অবৈধভাবে এই সম্মেলন করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। "যেদিন হেফাজত গঠন হয়েছে, সেদিন থেকেই আমি এর যুগ্ম মহাসচিব। হেফাজতের কাউন্সিল করার জন্য এপর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোন আালোচনা বা কোন মিটিং কখনও করা হয় নি। এটা একজন ব্যক্তির আমীর হওয়ার জন্য এবং রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ হাসিল করার জন্য এই কাউন্সিল করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।" মি: রুহী আরও বলছেন, "এতে আল্লামা শফীর অনুসারী এবং মুফতি ফজলুল হক আমিনীর অনুসারীদের দাওয়াত দেয়া হয় নাই। এবং চিহ্নিত রাজনৈতিক দল যাদের সাথে হেফাজতের মিল ছিল না। এখন কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।" তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা মনে করি, হেফাজতকে খণ্ডিত, বিভক্ত বা ভাগ করবার জন্য এটা একটা দুরভিসন্ধি পরিকল্পনা।" মি: রুহীর বক্তব্যে এও এসেছে যে, আহমদ শফীর অনুসারীরা এখন ঐ প্রতিনিধি সম্মেলনের বিরুদ্ধে তাদের করণীয় ঠিক করার জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছেন। এদিকে, সম্মেলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী সম্মেলন পরিচালনা করবেন। আর মি: বাবুনগরীর আত্নীয় মহিবুল্লাহ বাবুনগরী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং তিনিই এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক। তাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আহমদ শফীর অনুসারীরা। তারা বলেছেন, মহিবুল্লাহ বাবুনগরী হেফাজতে ইসলাম থেকে অনেক আগে পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি কোন সম্মেলন আহবান করতে পারেন না। তবে মি: শফীর অনুসারীদের বিরোধী অংশের নেতা এবং হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, তারা বৈধভাবেই সম্মেলন ডেকে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। এখানে কিছু লোকের বিরোধিতার কারণে তাদের সংগঠনে ভাঙনের কোন বিষয় নেই বলে তারা মনে করেন। "যারা অভিযোগ করে, তারা আসলে হেফাজতের এই উত্থান সম্পর্কে জনগণকে বা আমাদের কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য চেষ্টা করছে।" আজিজুল হক ইসলামাবাদী মি: শফীর অনুসারীদের সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার বিষয়েও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "এখন কেউ যদি কমিটিতে থেকে হেফাজতের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দেয়, তাহলে তো সঙ্গতকারণে তাদের এড়িয়ে চলবে। সম্প্রতিকালেতো অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন যে, হেফাজতকে ছিনতাই করা হচ্ছে, হাইজ্যাক করা হচ্ছে, এ সমস্ত অভিযোগ যদি কেউ করে তাহলেতো অবশ্যই সে বাদ পড়বে।" মি. ইসলামাবাদী আরও বলেন, "এটা বিভক্তি নয়। এটা হচ্ছে বিভক্তি করার চক্রান্ত। যাদের ব্যাপারে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ, তাদেরকে তো হেফাজতের কমিটিতে রাখার সুযোগ নাই।" তিনি প্রশ্ন রাখেন, "অনভিপ্রেত বা অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটলে-এগুলো সামাল দেবে কে?" ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে এই সমাবেশের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় এসেছিল। ব্লগারদের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে হেফাজতে ইসলাম আলোড়ন তুলেছিল ২০১৩ সালে। এরপর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমীর আহমদ শফীর সাথে সরকারের সখ্যতা গড়ে ওঠে।। গত কয়েক বছর ধরে সরকারের সাথে সখ্যতার প্রশ্নে সংগঠনটিতে পক্ষে-বিপক্ষে দু'টি ধারার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সরকার-বিরোধী বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের নেতারাও সংগঠনটিতে রয়েছেন। এখন সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তি দৃশ্যমান হয়েছে। দুই পক্ষের নেতাদের বক্তব্যেও তা উঠে এসেছে। হেফাজতে ইসলামের সাথে ঘনিষ্ট এবং লেখক শরীফ মোহাম্মদ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন ভিন্নভাবে। তিনি বলছেন, "শুরুর দিক থেকে যারা ছিলেন, তাদের একটা অংশের অনেকের ব্যাপারে হযরত আহমদ শফী হুজুরের জীবদ্দশায় বড় একটা অংশের পক্ষ থেকে কিছু কিছু বিষয়ে আপত্তি বা অভিযোগ ছিল। এই জায়গাগুলো দৃশ্যমান হলে দেখতে খারাপ লাগবে। তবে আমার কাছে বড় কোন ভাঙন এখনও মনে হচ্ছে না।" এদিকে আহমদ শফীর অনুসারীরা বলেছেন, এখন যে অংশ প্রতিনিধি সম্মেলন ডেকেছে, সেই সম্মেলনে ঐ অংশ জুনায়েত বাবুনগরীকেই আমীর করতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। কিন্তু সম্মেলন আহবানকারীরা বলেছেন, সম্মেলনে নেতা ঠিক করবেন অংশগ্রহণকারীরা। | বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা-ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি সম্মেলন আহবানকে কেন্দ্র করে সংগঠনটিতে আবার অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আইন। বিবাহিত স্ত্রীর অনিচ্ছাসত্বেও তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করলেও কি সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে? প্রেমিক-প্রেমিকা যদি বিয়ের আগেই পরস্পরের সম্মতিতে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে সেটা কী? সেই প্রেমিকা যদি হন অপ্রাপ্তবয়স্ক? বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ-ই বা কাকে বলা হচ্ছে? চলুন জেনে আসি এগুলোর পেছনের আইনি ব্যাখ্যা: ১৬ বছরের কম বয়েসীর সম্মতি গ্রহণযোগ্য নয় বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিশুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ১৬ বা তার কম বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়কে। মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদার মতে, এই সংজ্ঞায় শিশুকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই বয়সে মৌখিক বা লিখিত কোন সম্মতি দেয়ার মতো ক্ষমতা শিশুর গড়ে ওঠে না। তাই এই বয়সী কেউ যদি যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিয়েও থাকে সেটা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না। ফলে যদি কোন পুরুষ ১৬ বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি নিয়েও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করেন, সেটাও ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী। আর সম্মতি ছাড়া হলে তো কথাই নেই। সেটা বয়স নির্বিশেষে ধর্ষণ। আবার আইন অনুযায়ী কোন অবিবাহিত নারী আদালতে এমন অভিযোগও আনতে পারেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে, যেটা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করবে বাংলাদেশের আদালত। এমনকি সেখানে অভিযোগকারীর বয়স ষোলর বেশি হলেও আইনের দৃষ্টিতে ছাড় নেই। একই আইনে ভয় দেখিয়ে, ব্ল্যাকমেইল করে কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাও ধর্ষণ। নারী সহিংসতা। আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু শিশু আইনে শিশুর সংজ্ঞায় বয়সের সীমা রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তার কম। সেক্ষেত্রে অপরাধীর ক্ষেত্রে এই বয়স প্রাধান্য পাচ্ছে। ভুক্তভোগীর বয়স এখানে মুখ্য নয় বলে জানিয়েছেন মি. হুদা। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বা তার কম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলেও সেটার বিচার হবে শিশু আইনে। অন্যদিকে, নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে মামলা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী যদি বেঁচে থাকেন এবং তার বয়স যদি ১৮ বছরের নীচে থাকে তাহলে তার শিশু আইনের আওতায় শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সুযোগ আছে। তবে বিচার হবে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন অনুসারেই। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ বাংলাদেশে অনেক মামলাই হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীকে 'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে' ধর্ষণ করা হয়েছে। নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যেহেতু বলা আছে, যদি প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে দেখা হবে। এখন বিয়ের প্রলোভন দেখানোর বিষয়টি আইনানুযায়ী প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের মধ্যে পড়লেও আদালতে অনেক সময় সেটা নাও টিকতে পারে। এটা নির্ভর করে কতদিন ধরে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, সম্পর্কের গভীরতা কেমন ছিল, লিখিতভাবে বিবাহিত না থাকলেও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করেছিলেন কিনা, কোন সাক্ষী আছেন কিনা সেগুলোর ওপরেও নির্ভর করে বলে জানান তাকবির হুদা। কিন্তু একই রকম অভিযোগ কোন পুরুষ আনতে পারবেন না, বাংলাদেশের আইনে সেই সুযোগ নেই। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধন হয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ বা ম্যারিটাল রেপ বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করাকেও পৃথিবীর কোন কোন দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটা শাস্তিযোগ্য। এই ধরণের যৌন সহিংসতাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ বা ম্যারিটাল রেপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জাতিসংঘও এটিকে ভয়াবহ ধরণের পারিবারিক সহিংসতা বলে মনে করে। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে এমন অপরাধের উল্লেখ নেই। অর্থাৎ বিবাহিত স্ত্রীর সাথে তার অনিচ্ছায় বা জোরপূর্ব শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করলেও সেটা যৌন সহিংসতা বা যৌন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে বিবাহিত স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয়, এবং তার স্বামী যদি জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন তাহলে ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন। সেক্ষেত্রে শাস্তি শুধুমাত্র অর্থদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবীর হুদা। স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছর বা তার বেশি হয় তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের ফৌজদারি মামলা দায়েরের কোন সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পারিবারিক সহিংসতা আইনের অধীনে যৌন সহিংসতার মামলা করলে কিছু প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। শুধু দেওয়ানি আদালতে প্রতিকার পাওয়া যাবে অর্থাৎ আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ, ভরণপোষণের আদেশ দিতে পারে। তবে অভিযুক্ত স্বামী এসব আদেশ লঙ্ঘন করলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে। বাংলাদেশ ছাড়া আরও ৬টি দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর যদি মৃত্যু হয় বা গণধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হয় বা আহত হন, তাহলেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধান ছিল। সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে। এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেয়া সপ্তম দেশ হল বাংলাদেশ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ বা ধর্ষণ-পরবর্তী অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলেও একই শাস্তি হবে। যদি কোন ব্যক্তি তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শ্লীলতাহানি করেন তাহলে এটি যৌন নিপীড়ন বলে বিবেচিত হবে। এজন্য ওই ব্যক্তির অনধিক ১০ বছর এবং ন্যূনতম তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে। এছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোন নারী ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, তিনি বা তারা প্রত্যেকে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু ন্যূনতম পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ন্যূনতম ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন। তবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের অভিমত: "চরম শাস্তি সহিংসতাকে অব্যাহত রাখে, তা প্রতিরোধ করে না।" বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | বাংলাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী কঠোর আইন থাকলেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ঢাকার সদরঘাট নদীবন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করে। এধরণের দুর্ঘটনা খুব নিয়মিতভাবে হলেও, এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে খুব সামান্যই। এখনো প্রচুর লঞ্চ রয়েছে ফিটনেসবিহীন, জীবন রক্ষাকারী যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই অধিকাংশ লঞ্চে। অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েও এসব লঞ্চে যাত্রী পরিবহণ করা হয়। ঢাকার সদরঘাটের ব্যস্ত নদীবন্দর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার-হাজার যাত্রী। তবে তাদের সেই যাত্রা সবসময় নিরাপদে সম্পন্ন হয় না। জীবনের ঝুঁকির কথা জেনেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়ও যাতায়াত করেন লঞ্চের যাত্রীরা। ঢাকা থেকে চাঁদপুর এবং মতলবের রুটটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রুটগুলির একটি। "এখানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া কিছুই নাই। তারা কিছুই সংরক্ষণ করে রাখে নাই। কোন দুর্ঘটনায় পড়লে আমরা কি করবো কিছুই জানি না।" চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ ছাড়ার আগমুহূর্তে একজন যাত্রী বলছিলেন একথা। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে তারা কি করবেন, লঞ্চটিতে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট এবং বয়া আছে কিনা কিংবা থাকলেও সেটি কোথায় পাওয়া যাবে সেসম্পর্কে কোন ধারণাই তাদের নেই। লঞ্চটির মাস্টার খায়রুল ইসলাম অবশ্য দাবী করছেন, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই তার লঞ্চে আছে। কিন্তু সেটি যাত্রীরা কিভাবে পাবে? "এই রুটে তো অতবেশি দুর্ঘটনা হয় না। আর আগে আমরা তাদেরকে লাইফ জ্যাকেট কোথায় আছে দেখিয়ে দিই।" বলেন মি. ইসলাম। বেসরকারি সংস্থা কোস্টের গবেষণা অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশে ৪০০ টিরও বেশী নৌ দুর্ঘটনায় মারা গেছে পাঁচ হাজারেরও বেশী মানুষ। যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণগুলো একই ধরণের। "দুর্ঘটনার মূল কারণ অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা। গত তিনটি দুর্ঘটনাতেই লঞ্চের নকশা ছিল অবৈধ। তিনটি লঞ্চেই যাত্রী ধারণ করেছিল ধারণক্ষমতার বেশি। তাহলে এই লঞ্চগুলোর চলাচলের তদারকি যারা করতো, তাদের ভূমিকা কি ছিল? এখানেই মূল ঘটনাটি ভেসে আসে। এছাড়াও ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ১০০ টি লঞ্চের মধ্যে লাইসেন্সধারী চালক আছে মাত্র ১৩ জন। এখানেও আমাদের বড় ঘাটতি রয়েছে।" যাত্রীদের হাতের কাছে এধরণের বয়া খুব কমই দেখা যায়। বলছিলেন কোস্টের গবেষক মুজিবুল হক মুনির। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাগুলোর পেছনে সরকারী সংস্থাগুলোর গাফিলতি থেকে শুরু করে নানা কারণ দায়ী।তারপরও এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০ হাজারেরও বেশী নৌযান রয়েছে, যার মধ্যে ফিটনেস সার্টিফিকেট রয়েছে মাত্র ৯ হাজারের। এসব ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার দায়িত্ব সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের। কিন্তু এই কাজের জন্য তাদের জরিপকারী রয়েছেন মাত্র ৪ জন। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন ধরণের পরিদর্শন ছাড়াই শুধুমাত্র মালিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এনিয়ে ব্যাপক দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ খোদ নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খানও অস্বীকার করছেন না। "ফিটনেস ছাড়া লঞ্চ চলবে না এটা আইন। কিন্তু দেখা যায়, সমস্ত লঞ্চই ফিটনেস করে ফেলে। যারা মালিক তারা কোন না কোনভাবে ফিটনেস সনদ বা একটা টোকেন নিয়ে নেয়।" বলেন নৌমন্ত্রী মি. খান। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান জরিপকারী মির্জা সাইফুর রহমানও বললেন তাদের লোকবল সংকটের কথা। তিনি বলছিলেন, জরিপকারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একটি নতুন সাংগঠনিক কাঠামো এখন তৈরি হচ্ছে। তবে ৪ জন জরিপকারী নিয়ে সরেজমিনে কিভাবে ফিটনেস সনদ দেয়া সম্ভব? জানতে চাইলে মি. রহমান দাবী করেন, তারা সরজমিনে দেখেই ফিটনেস সনদ দেন। "সরেজমিনে না দেখে আমরা নরম্যালি ফিটনেস সনদ দেই না। যাত্রীবাহী নৌযানের ক্ষেত্রে এর ব্যাত্যয় হয় না। যাত্রীবাহী নৌযান আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখি। ", বলেন মি. রহমান। বাংলাদেশে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার অনেক সরঞ্জামই এখনো পর্যন্ত নেই। লঞ্চের চালকের কক্ষ। জিপিএস থাকলেও রাডার নেই। যেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া লঞ্চডুবির একটি মূল কারণ, সেই আবহাওয়ার খবরাখবরের জন্য নির্ভর করতে হয় রেডিও সংবাদের ওপরে কিংবা আবহাওয়া অফিসে টেলিফোন করে। সার্বক্ষণিক ওয়ারল্যাস যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা লঞ্চগুলোতে নেই। কিছু কিছু লঞ্চে এখন জিপিএস ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হলেও, দুয়েকটি বড় লঞ্চ ছাড়া অন্য কোন লঞ্চেই রাডারের ব্যবস্থা নেই। হাতিয়াগামী একটি লঞ্চের ডেকে বসে কথা হলো ইনচার্জ মাস্টার জালাল আহমেদের সাথে। তিনি বলছিলেন অন্যান্য লঞ্চের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে রাডার কিংবা চরে আটকে যাওয়া ঠেকাতে নদীর গভীরতা মাপার যন্ত্র লঞ্চগুলোতে সংযোজন করা প্রয়োজন। "এগুলো সংযোজন হলে সবগুলো জাহাজের জন্যই নিরাপদ হয়।" বলেন মি. আহমেদ। লঞ্চ দুর্ঘটনার পর দোষী সাব্যস্ত হলে মালিক, চালক কিংবা জরিপকারীর বিরুদ্ধে কিছু আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। যদিও, এধরণের আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নজির খুবই কম। ১৯৭৬ সালের আইন অনুযায়ী, লঞ্চ দুর্ঘটনায় দোষী মালিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল, ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু জরিমানার টাকা দিয়েই পার পেয়ে যান মালিকেরা। কোস্টের গবেষক মুজিবুল হক মুনির বলছিলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার পর সরকার থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই তদন্ত প্রতিবেদনের খোজ পাওয়া যায় না এবং যেসব প্রতিবেদনে বিভিন্ন সুপারিশ এসেছে সেগুলোও আমলে নেয়া হয়নি। "৫০০ টির বেশি তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং তিনটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাকিগুলো কি হয়েছে আমরা জানি না। আর সরকারী কর্মকর্তারাই এই তদন্ত করেন এবং গাফিলতি নিয়ে অভিযুক্তরাও সরকারী কর্মকর্তা। যেকারণে এসব ধামাচাপা দেয়ার একটি বিষয় চলে আসে। " লঞ্চ চলাচলে অনিয়মের জন্য লঞ্চ মালিকদের যে একটি প্রভাব রয়েছে সেটি সংশ্লিষ্ট অনেকেই অভিযোগ করছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও বিষয়টি স্বীকার করছেন। সদরঘাটে সেতু পার হয়ে পল্টুনে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে তিনি বলছেন, তাদের সময়ে লঞ্চ দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রীদেরও সতর্ক হতে বলছেন মি. খান। "আমরা বারবার সতর্ক করেছি ঈদের আগে। যাত্রী ভাইদের অনুরোধ করেছি যে আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে ভ্রমণ করবেন না। এই বিষয়ে কিন্তু সতর্ক তাদেরকেও থাকতে হবে।" বলেন মি. খান। নৌমন্ত্রী দাবী করছেন, তাদের সময়ে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তবে প্রতিবছরই লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ। আর এরপরও নদীগুলোতে চলছে ফিটনেসবিহীন এবং জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামবিহীন শত-শত নৌযান। যাত্রীরা যেমনটা বলছিলেন, নিরুপায় হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাদের চলাচল করতে হচ্ছে এবং কবে তারা নৌযাত্রায় নিরাপদবোধ করতে পারবেন কিংবা আদৌ কখনো পারবেন কিনা সেসম্পর্কেও তাদের কোন ধারণা নেই। | সরকারি হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষের ৩৫ ভাগ যাতায়াতই সম্পন্ন হয় নৌপথে। আর এই নৌপথেই লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রতিবছর মারা যায় শত-শত মানুষ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের মধ্যে এই অ্যাথলেটও রয়েছেন এসব অ্যাথলেটদের বেশিরভাগই এসেছিলো ক্যামেরুন থেকে । তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট এক কথায় একে 'পলায়ন' হিসেবে বর্ণনা করেছে। গোল্ড কোস্ট আয়োজকরা বলছেন নিখোঁজ অন্য অ্যাথলেটরা এসেছিলেন উগান্ডা, সিয়েরা লিওন ও রুয়ান্ডা থেকে। তবে এ ধরনের বড় গেমস থেকে অ্যাথলেট হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ধারণা করা হয় উন্নত দেশগুলোতে গেমসে এসে এভাবে পালিয়ে যাওয়ার একটাই কারণ- আর তা হলো উন্নত জীবনের স্বপ্ন। ২০০৬ সালে মেলবোর্নে কমনওয়েলথ গেমস চলাকালে অন্তত ৪০জন অ্যাথলেট ও কর্মকর্তা হারিয়ে গিয়েছিলো। পরে তাদের কয়েকজন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে। তারও আগে ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার গেমস থেকে হারিয়েছিলো ২৬ জন। একই ধরণের ঘটনা ঘটে অলিম্পিকের সময়েও। পাওয়া যাচ্ছেনা এই অ্যাথলেটকেও ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক থেকে হারিয়েছিলো ২১ জন অ্যাথলেট ও কোচ। সিডনীতে ২০০০ সালের অলিম্পিকে এসে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্নের পরেও অবস্থান করেছিলেন অন্তত একশ জন- যার মধ্যে ছিলেন অ্যাথলেট, কর্মকর্তা, কোচ ও ডেলিগেশন সদস্য। তবে উন্নত দেশে এসে এভাবে হারিয়ে যাওয়ার আরও বড় ঘটনা হয়েছে ফ্রান্সে, ২০১১ সালে। ওই সময় সেনেগালের পুরো একটি ফুটবল দল হোটেল থেকে হাওয়া হয়ে যায়। তবে এবার গোল্ড কোস্ট আয়োজকরা বলছেন নিখোঁজ অ্যাথলেটদের খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন তারা। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অবস্থান করা নিয়ে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন বলছে তারা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তবে ভিসা থাকলে অ্যাথলেটদের মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার রয়েছে। আরও পড়ুন সিরিয়ায় হামলা কি আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ? পশ্চিমা ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর আসাদ এখন কোথায়? | অস্ট্রেলিয়ায় চলমান কমনওয়েলথ গেমস থেকে অন্তত ১৩ জন আফ্রিকান অ্যাথলেট হাওয়া হয়ে গেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ইরানের সাথে একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি সই করেছে চীন। চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানের তেল কিনবে চীন। পাশাপাশি ইরানে কিছু বিনিয়োগও করবে চীন। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানে বিদেশী বিনিয়োগ অনেকটা বন্ধই রয়েছে। চীনের সুবিস্তৃত 'বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' কর্মসূচীতে সর্বশেষ সংযোজন এটি। বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে এমন সব যোগাযোগ বাড়াতেই হবে বেইজিংকে। গত বছর এই সহযোগিতা চুক্তির খসড়া ফাঁস হওয়ার পর অনেক ইরানি নাগরিক চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। বেল্ট এন্ড রোডসের চুক্তিগুলো সাধারণত চীনের স্বার্থই রক্ষা করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু প্রাথমিকভাবে আকর্ষণীয় মনে হলেও শেষ পর্যন্ত ছোট ও গরীব দেশগুলোর জন্য সেগুলো গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন তারা দেখেছে যে চুক্তির উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়েছে তারা। ইরান চীনের চেয়ে আকারে ছোট হলেও দেশটির বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রতিবাদী বৈদেশিক নীতির কারণে এর একটি স্বকীয়তা রয়েছে। নতুন চুক্তি ইরান ও আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্বের রসদ যোগাবে। আরো পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের অর্থনীতি। ইরান এবং ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসন-দুপক্ষই বলেছে যে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তিতে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের যোগ দেয়ার পক্ষে। এই চুক্তি যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সাথে চুক্তিটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন যে, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র লাভে নিরস্ত্র করার চেয়ে তার প্রক্রিয়া বেশি সহজ ছিল। ইরানি এবং আমেরিকানরা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিল, দু পক্ষেরই আশা ছিল অপরপক্ষ প্রথম পদক্ষেপটি নিক। কারণ কেউই আসলে আগে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তৈরি ছিল না। এখন চীনের সাথে যেহেতু ইরান একটি চুক্তি সই করেছে এবং এই দেশটিও যেহেতু জেসিপিওএ-র অংশ, তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, সহযোগিতা শুধু তেল বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতায় ইরানকে সুবিধা দেবে বলে ধরা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দুই পূর্বসূরির মতোই মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরিয়ে আরো আকর্ষণীয় ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে বেশি নজর দিতে চান। কিন্তু কার্যত এটা অসম্ভব, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এমন বিষয় প্রচুর পরিমাণেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইরান এবং এর পারমানবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, যেটি তাদের নেই বলে দাবি করে ইরান। ইরান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরো তিনটি দেশ সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরায়নি, কিন্তু সামনে এগোয়নি তারা। মধ্যপাচ্যে আমেরিকার অবস্থান আরো পোক্ত করার অনিচ্ছা তার প্রতিদ্বন্দ্বিদের জন্য সুযোগ বয়ে এনেছে। সিরিয়ার যুদ্ধে জড়ানোর মাধ্যমে রাশিয়া ওই অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগের ভূমিকা পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। চীন বিশ্বাস করে যে, দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অপূরণীয় পতন হবে। চীন নিজেকে একবিংশ শতাব্দী ও পরবর্তীর বিশ্বের উদীয়মান শক্তি হিসেবে মনে করে। আর এ পর্যায়ের শক্তিধর কোন রাষ্ট্র আসলে মধ্যপ্রাচ্যকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। ইরানের মতো স্বল্প মেয়াদে সুবিধা নেয়ার চেয়ে কৌশলগত এই সহযোগিতা হয়তো উপসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে চীনের জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুধু তেহরানে চুক্তি সইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র চায়না ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, তিনি পঞ্চমুখী একটি পরিকল্পনার সূচনা করেছেন যার উদ্দেশ্যে "ফিলিস্তিন-ইসরায়েল আলোচনা শুরু, ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবন এবং এই এলাকায় একটি সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।" এ ধরণের বিষয়গুলো পশ্চিমা কূটনীতিকরাও বলে থাকেন। তবে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে নিজেদের অধিকারে আছে বলেই ধরে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি তাই চেক সই করা ছাড়া অন্য ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্রদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে দূরেই রেখেছে। লোহিত সাগরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এরিমধ্যে তাদের প্রথম বৈদেশিক সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে, যেটি পড়েছে জিবুতিতে। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচলে অঞ্চলের উপর নজরদারি করে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ড থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। বেইজিং কি ইরান উপসাগরীয় এলাকায় তাদের নৌবাহিনীর পদচিহ্ন আঁকতে চায়, যে এলাকাকে নিজেরে হ্রদ বলে মনে করে আমেরিকা? জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন হয়তো ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি বা জেসিপিওএ-তে ফিরে আসার একটা পথ বের করে নেবে। নিজেদের স্বার্থেই তারা এটি করবে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল এলাকায় চীন যে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টায় গতি আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে সেটা আমেরিকার জন্য অস্বস্তিকর হবে। | চীন এবং ইরান গত সপ্তাহান্তেই একটি চুক্তিতে সই করেছে। দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলছেন যে, এই চুক্তিটির মাধ্যমে আগামী ২৫ বছর দুদেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশে বহু বছর ধরেই গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে নানা উদ্যোগের চেষ্টা হচ্ছিলো কর্মকর্তারা বলছেন আর্থিক দিক থেকে লাভবান না হওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণে মাত্রাতিরিক্ত খরচের সম্ভাবনা ছাড়াও মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হওয়ায় পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের চিন্তা সরকার বাদ দিচ্ছে। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। তাছাড়া পায়রা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা বিশ্লেষণ করেছেন। যেটুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য প্রায় সত্তর কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাছাড়া স্টাডিতে দেখা যাচ্ছে জায়গাটি ঠিক বন্দরের জন্য যথাযথ নয়। এসব নানা কারণে গভীর সমুদ্রবন্দরের চিন্তা বাদ দেয়া হয়েছে"। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলছেন, পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ছিলো একটি জবরদস্তিমূলক সিদ্ধান্ত। "আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে এটিকে গভীর সমুদ্রবন্দর বানানোর চেষ্টা হয়েছিলো। এটি কখনোই গভীর সমুদ্রবন্দর হতো না। বরং বন্দর হিসেবে এটি মংলার চেয়ে ভালো হবে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। আরেকজন গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ও ভূ রাজনৈতিক চাপের কারণেই সোনাদিয়ার পর পায়রা থেকে সরে এসেছে সরকার। "তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য চ্যানেল তৈরি সেখানে প্রচণ্ড ব্যয়বহুল হতো," মিস্টার মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সোনাদিয়া বন্দর প্রকল্প বাতিলের পর কী বিকল্প চিন্তা করছে সরকার? সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কতটা হলো নতুন পায়রা সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দর তবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, পায়রা বন্দরকে ঘিরে একটি মাস্টার প্লান তৈরি ও সমীক্ষার কাজ করছে বুয়েট ও নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে ২৩/২৪টি উপাদান আছে যার একটি অংশ ছিলো গভীর সমুদ্রবন্দর। জানা গেছে মূলত এ সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে, পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর করার মতো যথাযথ গভীরতা সক্ষমতা নেই। মি. চৌধুরী বলছেন, "একটি সমীক্ষা আমাদের করতেই হতো। এখন সমীক্ষা হওয়াতে আমরা বুঝতে পারছি পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য যথাযথ নয়। সেখানে যে বন্দর হচ্ছে সেটিই যৌক্তিক"। যদিও ২০১৬ সালের অগাস্টে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রায় পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, "ভবিষ্যতে পায়রা বন্দর গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে রূপ নেবে"। এর আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে সংসদে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন পাস হয়েছিলো। এর আইনের আওতায় রাবনাবাদ নদী ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হয়। এ কাজ শুরুর এতদিন পর এসে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "সমীক্ষার কাজটি পরে শুরু হওয়ায় এটি হয়েছে। তবে এটি খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমাদের মূল কাজ পায়রা বন্দর সেটিকে ঘিরে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে"। পায়রা বন্দরের প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে মূল বন্দর ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ১ হাজার ৭শ কোটি ডলার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিলো। যদিও কর্মকর্তারা এটিকে ধারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন যা পরে পূর্ণ সমীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত হওয়ার কথা। পায়রা বন্দর সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর একটি। যে কারণে গভীর সমুদ্রবন্দরের চিন্তা হয়েছিল নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, সোনাদিয়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিবেচনায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা না এগুনোয় বিকল্প হিসেবে পায়রার বিষয়টি তখন চিন্তায় এসেছিলো। "বন্দরের প্রয়োজনীয়তা ছিলো। এখন গভীর সমুদ্রবন্দর না হলেও পায়রা বন্দর ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। পুরো দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতিতে এটি ভূমিকা রাখবে। এখন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে বন্দর ঠিক আছে কিন্তু গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য মাতারবাড়িই বেশি উপযুক্ত"। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রসঙ্গত এক সময় গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপকে নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও পরে তা আর এগোয়নি। তবে সেটি কি কারণে এগোয়নি সেটি সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলাও হয়নি। এর মধ্যে সরকার ২০১৩ সাল থেকে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে যার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ছিলো গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ। এছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক শিল্প এলাকা, সিমেন্ট কারখানা, সার কারখানা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ নানা কিছু আছে পায়রা প্রকল্পের আওতায়। মি. চৌধুরী বলছেন গভীর সমুদ্রবন্দর ছাড়া বাকী সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক চলছে। বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলছেন, পায়রায় গভীরসমুদ্র বন্দরের সিদ্ধান্ত ছিলো একটা 'জবরদস্তি'। "রাবনাবাদ চ্যানেলের ৬০ কিলোমিটার পার হয়ে গভীর সমুদ্রে বন্দর বানানো ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিলো না। আর গভীর সমুদ্রবন্দরও হতো না এটা। আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্বার্থে এটাকে গভীর সমুদ্র বন্দর বানাতে চাওয়া হয়েছিল"। মি. ইসলাম বলেন, ১৮ মিটার গভীরতা সেখানে কখনোই রাখা যাবে না। এমনকি ১৪ মিটার গভীরতাও রাখা যাবে না। এটা করতে হলেও যে ধরণের খনন করতে হতো, তা হতো প্রচণ্ড ব্যয়বহুল। বন্দরের জন্য বেলজিয়ামের একটা কোম্পানির সাথে ড্রেজিং চুক্তি হয়েছে তাও রিজার্ভ থেকে ৫শ মিলিয়ন ডলার ধার করে-যা মোটেও যৌক্তিক হয়নি। "তবে মংলার চেয়ে ভালো বন্দর হবে। তাই বন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিৎ। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এবং সেতু থেকে পায়রা পর্যন্ত যোগাযোগ তৈরি হলে এটি বন্দর হিসেবে খুবই ভালো করবে," বলছিলেন মিস্টার ইসলাম। অন্যদিকে গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পুরো বিষয়টির সাথে দুটি বিষয় জড়িত- প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা আর ভূ-রাজনৈতিক চাপ। "বাংলাদেশ যখন সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করছিলো তখন মিয়ানমার কাছাকাছি এলাকায় সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশ আবার পায়রার জন্য স্টাডি করছে তখন ভারত বাংলাদেশে এই দিকেই কয়েকটি বন্দর নিয়ে কাজ করছে। বিশাখাপত্তমকে বড় পরিসরে করা হচ্ছে। তবে পায়রার জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর না করাই ভালো হবে," বলছিলেন তিনি। তিনি বলেন গভীর সমুদ্রবন্দরের যে সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে পায়রায় তাতেও উঠে এসেছে যে সেখানকার চ্যানেল উপযোগী করাটা ব্যয়বহুল হতো। আবার মাতারবাড়ীতেও কাজ শুরু হয়েছে। তাই দেরীতে হলেও কর্তৃপক্ষ পায়রা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। | বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপকূল থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সরকার। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে মি: ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করা হলো হোয়াইট হাউজ অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে। মি: ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র্র তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করে মি: ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেছে। মি: ট্রাম্প ঐতিহাসিক এবং বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ নিতে পছন্দ করেন। তিনি দেখাতে চান যে, তাঁর পূর্বসুরিরা যা করতে পারেননি, সেটা তিনি করছেন। তাঁর পররাষ্ট্র নীতি এখন পর্যন্ত ভালই চলছে বলা যায়। জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের এই পদক্ষেপের পেছনে শক্ত লবিং ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডানপন্থী আমেরিকান ইহুদি যারা রক্ষণশীল বার্তা দেয়, তাদের একটা প্রভাব রয়েছে মি: ট্রম্পের নীতি নির্ধারকদের উপর। খৃষ্টান ধর্ম যারা মনে প্রাণে পালন করেন, জেরুসালেম নিয়ে তাদের যে বক্তব্য আছে, সেই বক্তব্য আসে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কন্ঠে। "তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে রাজা ডেভিডের আমলে ঈশ্বরের সিদ্ধান্তে জেরুসালেম ছিল ইসরায়েলের রাজধানী। ডালাসের ধর্ম প্রচারক রবার্ট জেফ্রিজ বাইবেল উদ্ধৃত করে আমাকে বলেছিল।" গাজায় ফিলিস্তিনীদের বিক্ষোভে ইসরায়েলী বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শান্তি প্রক্রিয়া কী তাহলে এগুবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর রেকর্ডকৃত বার্তায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছিলেন। জেরুসালেমের সমস্যা সমাধানে সবপক্ষের জন্য একটা শক্ত চুক্তির কথাও তিনি তুলে ধরছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউজ এখনও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি কোন পথে সমাধান সম্ভব, যুক্তরাষ্ট্রই বা কিভাবে সমাধান চাইছে, সে ব্যাপারে হোয়াইট হাউজ কিছুই বলছে না। হোয়াইট হাউজ সমাধানের উপায় তৈরি করছে বলেই বলা হচ্ছে। আরো পড়ুন: অসলো শান্তি চুক্তি: কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? মার্কিন দূতাবাস এখন জেরুসালেমে, বিপদ কোথায়? এয়ারলাইন্সের মেনুতে 'ফিলিস্তিন' নিয়ে বিতর্কের ঝড় মধ্যপ্রাচ্যের সাবেক একজন মধ্যস্থতাকারী ডেভিড মিলার বলেছেন, মি: ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং তার আইনজীবী মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের বাস্তবতা বুঝিয়ে সমাধানের উপায় বের করা যেতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তাদের দূতাবস স্থানান্তর করার ফলে জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন জেরুসালেমের সীমানা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনীদের হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষাপটে তারা এখন শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। তাদের পক্ষে অন্য কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সম্ভবনা কম। ইসরাইলী বাহিনীর গুলিতে নিহতদের জানাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনী অংশ নেন তাহলে পরিস্থিতি কী বিস্ফোরণের দিকে এগুচ্ছে? গাজা সীমান্তে সহিংসতা এবং হতাহতের ঘটনার পর ট্রাম্প প্রশাসন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তাতে তারা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। হোয়াইট হাউজ গাজার হামাস নেতাদের দায়ী করে বলেছে যে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসরায়েলকে উস্কানি দিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এদিকে ইসরায়েলে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রেক্ষাপটে হতাশ ফিলিস্তিনীদের সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের ব্যাপারে এখন হামাস সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, জঙ্গী সংগঠন হামাস এখন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দূর্বলতার কথা তুলে ধরে নিজেরা অবস্থান তৈরি করছে। গত ২৫ বছর ধরে কথা চললেও জেরুসালেম নিয়ে কোন সমাধান হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারগুলোও সবসময় ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি এখন খারাপের দিকেই এগুচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। | 'শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সর্বোচ্চ আশা।' ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমের এক অনুষ্ঠানে রেকর্ড করা এক বার্তায় একথা বলেছেন। কিন্তু তিনি কি সেই পথে হাঁটছেন, এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ঢাকায় হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। বিশেষ করে প্রিয়া সাহা ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিখোঁজের যে তথ্য দিয়েছেন তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনীতিক এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যাগত চিত্রটা আসলে কেমন? আর প্রিয়া সাহার বক্তব্য কতটা বাস্তবসম্মত? ব্রিটিশ আমলের পূর্ববঙ্গ, পাকিস্তান আমলের পূর্ব পাকিস্তান আর বর্তমান বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে জনসংখ্যার একটা হিসাব পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ে হওয়া আদমশুমারিতে। এসব তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে রক্ষিত আছে। সেখানে আদমশুমারির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ৪৭ এর ভারত ভাগের পর থেকে এ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আর এখনকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কখনোই দেড় কোটি ছাড়ায়নি। ১৯৫১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, সেসময় পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিলো ৯৭ লাখ ৬ হাজার। ১৯৬১ সালের আদমশুমারিতে এ সংখ্যা ৯৯ লাখ ৫০ হাজার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে এ সংখ্যা হয় ১ কোটি চার লাখ ৩৯ হাজার। আর সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এই সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ। অর্থাৎ এই ভূখন্ডে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কখনোই ৩ কোটি ৭০ লাখ বা এর অর্ধেকও ছিলো না। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। নিখোঁজ নিয়ে প্রিয়া সাহার ব্যাখ্যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, রোববার রাতে ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিওতে অবশ্য সে বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন প্রিয়া সাহা। তাতে ৩ কোটি ৭০ লাখ ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিখোঁজ হওয়ার পরিসংখ্যানের ব্যাখ্যা দেন তিনি। তিনি বলেন, "২০০১ সালের পরিসংখ্যানে সংখ্যালঘুদের উপর একটা চ্যাপ্টার রয়েছে। সেনসাস (আদমশুমারি) অনুসারে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা ছিলো মোট জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ। এখন তা কমে ৯.৭ শতাংশ।" প্রিয়া সাহা বলছেন, "সংখ্যালঘুদের শতকরা ভাগ যদি এখনো একই রকম থাকতো তাহলে বর্তমানে তাদের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি হতো। সেটাই আমি বলতে চেয়েছি।" তাহলে নিখোঁজ মানুষগুলো কোথায় গেছে? এমন প্রশ্নের অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেননি প্রিয়া সাহা। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পকে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয়া সাহা প্রিয়া সাহার অভিযোগ কতটা আমলে নিতে পারেন ট্রাম্প 'প্রিয়া সাহা দেশে ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে' আনুপাতিক হারে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কমেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কি কমেছে? আদমশুমারিতে অবশ্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায় না। ভারত-ভাগের পর ১৯৫১ সালে ৯৭ লাখ ৬ হাজার থেকে ২০১১ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখে। কিন্তু মোট জনসংখ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আনুপাতিক হার অবশ্য কমেছে। তবে এই কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান শুধু পাকিস্তান আমলে কিংবা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরই যে দেখা যাচ্ছে তেমন নয়। বরং ব্রিটিশ আমলেও এই অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক হার কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সেসময় শুমারিতে অবশ্য মূলত: হিন্দুদের সংখ্যাই দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের পরিসংখ্যান ১৯১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সেসময় পূর্ব বাংলায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার ছিলো ৩১ শতাংশ। ১৯৪১ সালে ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমেছে ৩ শতাংশ। তবে এরপরই হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার দ্রুত গতিতে আরো কমতে থাকে। ১৯৪১ থেকে ১৯৭৪ এই ৩৩ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমে যায় প্রায় ১৫ শতাংশ। ১৯৪৭ এর ভারত-ভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বিভিন্ন কারণে সেসময় অবশ্য পূর্ব বাংলা থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে গিয়েছিলেন। একইভাবে ভারত থেকেও অনেক মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন। আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও অনেক হিন্দু দেশান্তরি হয়েছিলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর আকার বেড়েছে। স্বাধীনতার পরের চিত্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট জনসংখ্যায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কমে যাওয়ার হারে আবারো ধীরগতি দেখা যায়। ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারিতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ছিলো ১৪.৬ শতাংশ। ২০১১ সালে সেটি কমে আসে ৯.৬ শতাংশে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আমলে ৩৭ বছরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার কমেছে ৫ শতাংশ। আদমশুমারিতে অবশ্য সবসময়ই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা এবং আনুপাতিক হার দুটোই বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ আমলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ৫ শতাংশ কমে যাওয়া কতটা অস্বাভাবিক? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম অবশ্য একে অস্বাভাবিক মনে করেন না। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হার কমলেও আকার কিন্তু কমছে না, বরং বাড়ছে। কিন্তু আনুপাতিক হার কেন কমছে এমন প্রশ্নে তিনি বলছেন, "সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার কিংবা সন্তান বেশি নেবার প্রবণতা বেশি। এটা বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক গবেষণাতেও দেখা গেছে যে মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বেশি। বাংলাদেশেও আমরা ছোট আকারে বিভিন্ন গবেষণায় এটা দেখেছি।" তিনি বলছেন, একদিকে মুসলিম জনসংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে তাদের মধ্যে জন্মহারও বেশি। ফলে তাদের আকার যেমন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি মোট জনসংখ্যায় আনুপাতিক হারেও এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আকার বাড়লেও আনুপাতিক হার কমছে। আরো পড়তে পারেন: অ্যাসিড হামলার শিকার এক বাংলাদেশী নারীর বিজয়ের গল্প ইসরায়েলে হাজার বছরের পুরনো মসজিদ সারা বিশ্বে এখনও কতো সিংহ বেঁচে আছে? | গত সপ্তাহে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের একজন নেত্রী প্রিয়া সাহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যেসব বক্তব্য তুলে ধরেছেন, তা নিয়ে বাংলাদেশে এখনো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | অনেক নারী বিবিসির সংবাদদাতাকে বলেছেন, সেদিন রাতে যৌন হামলার কতো কাছাকাছি থেকে তারা বেঁচে গিয়েছেন। দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশে সহিংসতায় অন্তত ৪০জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই রয়েছেন। হাজার হাজার মুসলমান নারী ও শিশু ঘরবাড়ি হারিয়েছে। শহরের ইন্দিরা বিহার এলাকার একটি বড় কক্ষে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত অসংখ্য নারী ও শিশু মাদুরের ওপর বসে রয়েছেন। অনেক তরুণীর কোলে শিশু রয়েছে, সেই সঙ্গে একটু বড় শিশুরাও আশেপাশে খেলা করছে। এই কক্ষটি একজন মুসলমান ব্যবসায়ীর, যা এখন বাস্তুচ্যুত মানুষজনের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অন্যতম প্রধান দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকা, শিব বিহারে নিজেদের বাড়িঘরে হিন্দু দাঙ্গাকারীরা হামলা করার পরে এই মুসলমান নারী ও শিশুরা পালিয়ে এসেছে। আরো পড়ুন: দিল্লির দাঙ্গার মূলে কি নাগরিকত্ব আইন, নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসা? দিল্লিতে যেভাবে নড়ে গেছে হিন্দু-মুসলিম বিশ্বাসের ভিত দিল্লি সহিংসতা: নরেন্দ্র মোদীকে ঢাকায় না আনার দাবি সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যেই হিন্দু মুসলমানদের হাতে হাত রাখার গল্প নারী ও শিশুরা ইন্দিরা বিহারে আশ্রয় নিয়েছেন কর্মজীবী হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে অলিগলিতে ভরা শিব বিহারে বেশ বড় সংখ্যায় মুসলমানরা বসবাস করে। নোংরা একটি নালার পাশ দিয়ে কয়েকশো মিটার দূরে চামান পার্ক আর ইন্দিরা বিহারে আবার মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মাত্র একটি সড়ক দ্বারা মুসলমান এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো আলাদা হয়ে রয়েছে। এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষরা বহুকাল ধরে একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু সেই অবস্থার এখন পরিবর্তন হয়েছে। শিব বিহারের ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে আসা একজন নারী নাসরিন আনসারী বলছেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর সেখানে সহিংসতা শুরু হয়, যখন শুধুমাত্র নারীরাই বাড়িতে ছিলেন। তাদের বাড়ির পুরুষরা তখন কয়েক মাইল দূরে, দিল্লির আরেক অংশে একটি ইজতেমায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ''আমার ৫০-৬০জন মানুষকে দেখতে পাই। তারা কারা জানি না, আগে কখনো দেখিনি,'' বলছেন নাসরিন। ''তারা আমাদের বলে, আমরা তোমাদের রক্ষা করতে এসেছি, তোমরা ঘরের ভেতরে থাকো।'' তিনি এবং অন্য নারীরা তাদের বাসার জানালা এবং বারান্দা দিয়ে তাদের দেখছিলেন। একটু পরেই তারা বুঝতে পারে, এই মানুষগুলো তাদের রক্ষা করার জন্য আসেনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৮নম্বরে অতীশ দীপঙ্কর তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে 'সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা' করোনাভাইরাস কিভাবে ঠেকাতে পারে ব্যস্ত শহরগুলো 'আমার জরায়ু ফেলে দিয়েছে কিন্তু তা জানলাম ১১ বছর পর' নাসরিন আনসারী (বায়ে) এবং তার মা নুর জাহান আনসারি গত কয়েকদিন ধরেই আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন বিবিসি সংবাদদাতাকে একটি ভিডিও দেখান নাসরিন, যা তিনি বাসার জানালা থেকে ভিডিও করেছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন পুরুষকে দেখা যায়, যারা সবাই হেলমেট পরে রয়েছেন এবং হাতে লম্বা কাঠের লাঠি রয়েছে। নাসরিন বলছিলেন, এই পুরুষরা জয় শ্রী রাম এবং হনুমান চালিসার মতো হিন্দু ধর্মীয় শ্লোগান দিয়ে চিৎকার করছিলেন। তার মা নুর জাহান আনসারী বলছেন, একজন মুসলমান প্রতিবেশী তাকে ডেকে বলেন যে, তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ''আমাদের জানালা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম, আরেকজন মুসলমান প্রতিবেশী এবং তার ওষুধের দোকান আগুনে জ্বলছে।'' হামলাকারীরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ভাঙচুর করে এবং ধুলায় পুরো এলাকা আচ্ছাদিত হয়ে যায়। ''কিছুক্ষণ পরে আমাদের চারদিকেই যেন আগুন জ্বলতে শুরু করে। তারা মুসলমানদের দোকান এবং বাড়িঘর লক্ষ্য করে মলোটভ ককটেল এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ছুড়ে মারছিল। কিন্তু কোন হিন্দু বাড়িতে হামলা করেনি। আমরা কখনো ভাবিনি, এরকম কোন কিছু কখনো ঘটতে পারে। আমাদের একমাত্র দোষ, আমরা মুসলমান।'' তিনি বলছেন। শিব বিহার থেকে পালিয়ে গেছেন হাজার হাজার মুসলমান বাসিন্দা নাসরিন বলছেন, নারীরা তখন পুলিশের কাছে অনেকবার টেলিফোন করে। ''প্রত্যেকবার তারা আমাদের আশ্বস্ত করছিল যে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা এখানে পৌঁছে যাবে।'' একপর্যায়ে নাসরিন কয়েকজন আত্মীয়কে টেলিফোন করে বলেন, আজ রাতে তাদের আর রক্ষা হবে না। হামলা শুরুর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর অবশেষে রাত তিনটার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়, যখন চামান পার্ক আর ইন্দিরা বিহারের মুসলমান ব্যক্তিরা পুলিশের সঙ্গে সেখানে পৌঁছান। '' আমরা আমাদের জীবন বাঁচাতে ছুটছিলাম। এমনকি পায়ে জুতা পড়ার সময়টাও পাইনি,'' তিনি বলছেন। ওই আশ্রয় কেন্দ্রের আরো কয়েকজন নারী সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে একই রকম কাহিনী বললেন। উনিশ বছর বয়সী শায়রা মালিক বলছেন, তিনি এবং তার পরিবার একজন প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ''আমরা যেন সেখানে ফাঁদে আটকে পড়েছিলাম। বাইরে থেকে বৃষ্টির মতো সেখানে পাথর আর মলোটভ ককটেল ছুড়ে মারা হচ্ছিল।'' অনেক নারী বিবিসির সংবাদদাতাকে বলেছেন, সেদিন রাতে যৌন হামলার কতো কাছাকাছি থেকে তারা বেঁচে গিয়েছেন। হামলাকারীরা তাদের স্কার্ফ খুলে ফেলেছিল এবং কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলেছিল। কীভাবে ঘরে ঢুকে কয়েকজন ব্যক্তি তার কাপড়চোপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে, সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন একবছর বয়সী একটি শিশুর মা- একজন নারী। ত্রিশ বছর বয়সী আরেকজন নারী বলছেন, তার একজন হিন্দু প্রতিবেশীর সহায়তার কারণেই তিনি বেঁচে আছেন। ''আমার প্রতিবেশী হামলাকারী ব্যক্তিদের বলেন, আমি তাদের পরিবারের সদস্য। এখানে কোন মুসলমান নারী নেই। দাঙ্গাকারীরা পেছন দিকে চলে গেলে তিনি আমাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন।'' বলছেন ওই নারী। শায়রা মালিক (বামে) বলছেন, তিনি এবং তার পরিবার একজন প্রতিবেশী বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এই অর্থহীন সহিসংতার শুরু হয় রবিবার বিকাল থেকে যখন নতুন বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরোধিতা কারীরা শিব বিহারের কয়েক কিলোমিটার দূরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আশেপাশের এলাকাগুলোয় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে রয়েছে শিব বিহার এবং চামান পার্ক। সংবাদদাতা যখন ওই এলাকার ভেতর দিয়ে হাটছিলেন, সেখানকার পথেঘাটে তখনো সহিংসতার ছাপ দৃশ্যমান হয়ে ছিল। অনেক দাঙ্গা পুলিশ সতর্ক নজর রাখছেন, যাতে আর নতুন করে কোন সহিংসতার শুরু না হয়। সড়ক জুড়ে ইট আর পাথরের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও আগুনে পোড়া গাড়ি, দোকান এবং বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে। শিব বিহারে একটি মসজিদেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ইন্দিরা বিহারের আশ্রয় কেন্দ্রে নারীরা বলছেন, তাদের কোন ধারণাই নেই যে, কখন তারা আবার নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন। শাবানা রেহমান বলছেন, তার তিনটি সন্তান ক্রমাগতভাবে তাকে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন যে, কবে তারা নিজেদের বাড়িতে যাবে। ''অগ্নিসংযোগকারীরা আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাবো? আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী? আমাদের এখন কে দেখবে? আমাদের সব কাগজপত্র পুড়ে গেছে,'' যখন তিনি এই কথা বলছিলেন, তখন তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে নামছিল। বহু বছর ধরে বসবাস করে আসা তার শিব বিহারের বাড়িটি স্বল্প হাটা পথের দূরত্বে, কিন্তু মনে হচ্ছে যেন সেই দূরত্ব যোজন যোজন দূরে। | ভারতের রাজধানী দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ ধর্মীয় দাঙ্গা আবারো প্রমাণ করলো যে, যেকোনো সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি শিকার হয় নারী ও শিশুরা। দিল্লি থেকে বিবিসির গীতা পান্ডের প্রতিবেদন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | দিল্লির দাঙ্গা বিধ্বস্ত অশোক নগর এলাকার হিন্দু ও মুসলিম বাসিন্দারা সাংবাদিকদের কাছে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, রাজধানীর এই এলাকাগুলোতে গরিব, শ্রমজীবী হিন্দু ও মুসলিমরা যে পারস্পরিক ভরসার ভিত্তিতে এত বছর ধরে পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন - সেই বিশ্বাসের ভিতটাই ভীষণভাবে নড়ে গেছে। হিন্দু-অধ্যুষিত এলাকা ব্রিজপুরী আর মুসলিম-অধ্যুষিত মোস্তাফাবাদের সীমানায় একদল মহিলা বলছিলেন, তারা এখন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেই রাত জেগে মহল্লায় পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু তারা স্পষ্টতই ব্যতিক্রম। খুব কম জায়গাতেই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একযোগে পাহারা দিচ্ছেন কিংবা হিন্দু-মুসলিমদের নিয়ে এলাকায় 'শান্তি কমিটি' গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। বরং জাফরাবাদ-মৌজপুর-গোকুলপুরী-ভজনপুরা গোটা তল্লাট জুড়েই প্রবল সন্দেহ আর অবিশ্বাসের বাতাবরণ। হিন্দু ও মুসলিম উভয় মহল্লাতেই গলিতে ঢোকার প্রবেশপথগুলো পাথর বা ব্যারিকেড ফেলে আটকে দেওয়া হয়েছে। গলিতে ঢোকার বা বেরোনোর সময় এলাকার বাসিন্দারাই বহিরাগতদের নাম-পরিচয় পরীক্ষা করছেন। সংবাদমাধ্যমও এই 'স্ক্রুটিনি' থেকে বাদ পড়ছে না। আমি ও বিবিসিতে আমার সহকর্মী সালমান রাভি-কেও বার বার এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। মুসলিম নাম শুনে হিন্দু মহল্লার লোকজন ভুরু কুঁচকে তাকিয়েছেন, আবার হিন্দু নাম শুনে মুসলিম এলাকার লোকজন অনেকে গুটিয়ে গেছেন। 'কোথায় ছিল পুলিশ' পাশাপাশি হিন্দু ও মুসলিম দুতরফেই এই প্রশ্নটা তোলা হচ্ছে, "যখন মারামারি-লুঠপাট হচ্ছিল তখন পুলিশ বা মিডিয়া কোথায় ছিল?" শিব বিহারের বাসিন্দা বৃদ্ধ শাজাহান আলি বলছিলেন, "দুতরফ থেকেই পাথর ছোঁড়াছুড়ি হচ্ছিল যখন - তখন কোনও পুলিশই আসেনি। বরং মনে হয়েছে, প্রশাসন যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই হিংসায় উসকানি দিয়েছে।" দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত একটি এলাকার মানুষজনের সাথে কথা বলছেন বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ দাঙ্গার মধ্যে একজন বিচারপতির বদলি নিয়ে শোরগোল দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত জাফরাবাদে যা দেখছেন বিবিসির সংবাদদাতা বাইক চালাচ্ছিল তার ছেলে মুজফফর, সে পাশ থেকে যোগ করে, "সহিংসতার পর আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আসেনি, ফোন করেও কোনও সাড়া মেলেনি!" বস্তুত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মূলত মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কীভাবে এই বিপজ্জনক হিংসায় মোড় নিল, সেটা এখনও একটা রহস্যই। ব্রিজপুরীর প্রবীণ হিন্দু বাসিন্দা পন্ডিত মোহন শর্মা যেমন বলছিলেন, "গত দুমাসের ওপর ধরেই পাড়ার মসজিদে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল - কিন্তু তা শান্তিপূর্ণই ছিল।" "কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ আচমকা এতটা অশান্ত হয়ে উঠল কীভাবে সেটা আমার মাথাতেই ঢুকছে না।" আবার শর্মাজির প্রতিবেশী মহম্মদ রফিকও জানাচ্ছেন, "সেদিন সকাল থেকেই বাতাসে কানাঘুষো শুনছিলাম, গন্ডগোল হতে পারে।" "বিকেল চারটে নাগাদ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল - পাথর-ইট-পাটকেল-পেট্রল বোমা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে গেল। কে আগে করেছে জানি না, কিন্তু যা হয়েছে অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।" 'আমরা হিন্দুরা কি চুড়ি পরে বসে থাকব না কি?' গত রবিবার বিকেলে দিল্লিতে বিজেপির এক বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্র-র প্ররোচনামূলক ভাষণকে অনেকে দাঙ্গা 'ট্রিগার' করার জন্য দায়ী করেছেন। বহু মুসলিম আমাদের বলেছেন, "কপিল মিশ্রই যাবতীয় গন্ডগোলের মূলে।" "দলের ইশারাতেই নিশ্চয় তিনি এখানে এসে পুলিশকে হুমকি দিয়ে গেছেন - যাতে দাঙ্গার সময় তারা হাত গুটিয়ে থাকে।" আবার হিন্দুদের মধ্যে কপিল মিশ্রর সমর্থকও কম নয়। ভজনপুরার এক ভস্মীভূত পেট্রোল পাম্পের সামনে একদল বাইক-আরোহী যুবক মিডিয়ার লোকজন দেখে আমাদের এসে শুনিয়ে গেল, "শুনে রাখুন - আসল হিরো কিন্তু কপিল মিশ্রই!" "মুসলিমরা যেখানে খুশি রাস্তা আটকে বসে পড়বে, আমরা হিন্দুরা কি চুড়ি পরে বসে থাকব না কি?", এক নি:শ্বাসে বলেই ঝড়ের গতিতে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। দাঙ্গার ধ্বংসযজ্ঞ দেখছেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির এক বাসিন্দা এদিন (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে আম আদমি পার্টির এক স্থানীয় কাউন্সিলর তাহির হোসেনের নামও ভীষণভাবে আলোচনার কেন্দ্রে। বিজেপি সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়া-তে নানা ভিডিও পোস্ট করে দাবি করছেন, অঙ্কিত শর্মা নামে যে তরুণ গোয়েন্দা অফিসারের লাশ দুদিন আগে জাফরাবাদের নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে - তার হত্যার পেছনে দায়ী ওই মুসলিম রাজনীতিবিদই। তাহির হোসেন নিজে অবশ্য এদিন দাবি করেছেন, তিনি কোনও আক্রমণে জড়িত তো ছিলেনই না - বরং তার বাড়িতেই দাঙ্গাকারীরা হামলা করেছিল। তবে তার পরও বিভিন্ন হিন্দু মহল্লায় তাহির হোসেনকে 'টেররিস্ট' বলে গালাগালাজ করা হচ্ছে, তা নিজের কানেই শুনেছি। দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ যে কতটা বিষিয়ে গেছে, এগুলো তারই প্রমাণ। যমুনা বিহারের এক মুসলিম গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে এদিন কথা হচ্ছিল, যিনি নিজের নাম বলতে চাইলেন না। তিনি নিজের কারখানার এগারোজন হিন্দু শ্রমিককে আজ সকালেই ওল্ড দিল্লি স্টেশন থেকে বিহারের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে এসেছেন। "যা পরিস্থিতি এখানে, ওদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়া আমার পক্ষে সত্যিই আর সম্ভব নয়। অথচ ওরা প্রায় দশ-বারো বছর ধরে আমার এখানেই কাজ করছে, কখনও কোন সমস্যা হয়নি", বলছিলেন তিনি। ওদিকে মুস্তাফাবাদের অলিতে-গলিতে পোড়া মসজিদের ভেতর থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে, চারদিকে ছড়িয়ে আছে ছাই। ফারুকিয়া মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে মহিলারা বলছিলেন, "হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাদের নিজের ঘরেও লুকিয়ে রেখেছি - অথচ তারা আমাদের এত বড় ক্ষতি কীভাবে করতে পারল?" "মাদ্রাসার ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপর পর্যন্ত হামলা করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কোরান শরিফ", জানাচ্ছেন তারা। দিল্লির দাঙ্গা-বিধ্বস্ত একটি এলাকা। বস্তুত এখন সরাসরি অন্য সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কথা বলছে হিন্দু-মুসলিম দুতরফই। ওদিকে একটু দূরেই পিপুল গাছের গলি নামে পরিচিত সরু রাস্তার ভেতরে দিলীপ সিংয়ের বাড়ির ভেতরেও শোকের মাতম চলছে আজ তিনদিন ধরে। পাড়ার মহিলারা বলছিলেন, "পরিবারের ছোট ছেলে রাহুল সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে মায়ের বেড়ে দেওয়া খাবার খেয়ে বাইরে বেরিয়েছিল কীসের গন্ডগোল তা দেখতে।" "এই রাস্তা দিয়ে গেল, আর পাঁচ মিনিট বাদে পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফিরল তার গুলিবিদ্ধ লাশ!" উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাবরপুরা, জাফরাবাদ, মৌজপুর বা গোকুলপুরীর মোড়ে মোড়ে আজ এই ধরনেরই ছবি। আর রাহুল সিং যেমন, তেমনি শাহিদ আলম বা তানভির শেখ-সহ নিহতদের অনেকের পরিবারেরই স্পষ্ট অভিযোগ তাদের প্রিয়জনের প্রাণ গেছে যে হিংসায় - প্রশাসন চাইলে তা অনায়াসেই এড়াতে পারত! যে কোনও কারণেই হোক প্রশাসন তা চায়নি - আর শুধু ৩৫টি প্রাণই নয়, তার নিষ্ঠুর বলি হয়েছে সেই ভরসাটুকুও - যার ভিত্তিতে দিল্লিতে এতদিন পাশাপাশি থেকেছে হিন্দু ও মুসলিমরা। | দাঙ্গাবিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে রাস্তাঘাটে একটু একটু করে যানচলাচল আবার শুরু হয়েছে, মানুষজন জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন - কিন্তু ভেতরে ভেতরে পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত থমথমে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | গত শুক্রবার ঢাকায় হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একই বছর শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে আবারো হামলা হলে তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের জোরদার অভিযানে জঙ্গি তৎপরতার খানিকটা কমে এসেছিল কিন্তু সম্প্রতি এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে কয়েকটি অভিযান ও হামলা চেষ্টার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে কেন জঙ্গি কার্যক্রম হঠাৎ বেড়ে গেল? নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাখাওয়াত হোসেন বলছিলেন বাংলাদেশে এই ধরণের হামলার চেষ্টা করা হবে সেটা আগেই থেকেই কিছুটা ধারণা করা যাচ্ছিল। "অনেকটা প্রেডিকটেড ছিল যে এই ধরণের ডেসপারেট অ্যাকশন হবে বাংলাদেশে" বলছিলেন মি. হোসেন। তিনি বলছিলেন "এটাকে আমারা রি-অর্গানাইজ পিরিয়ড হিসেবে ধরবো যখন কোন হামলা হয়নি। নতুনভাবে সংগঠিত করা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারিতে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসা। এই সময়টা তারা চুপ থাকে এবং নতুন কৌশল সাজায়"। গতকাল শনিবার সিলেটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ' বোমা বিস্ফোরণের দায়' স্বীকার করেছে কথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস। সিলেটে বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকেই জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। গত ১৭ই মার্চ ঢাকায় আশকোনায় র্যাবের একটি ব্যারাকে মধ্যে শরীরে বাধা বোমার বিস্ফারণে নিহত হন সন্দেহভাজন একজন জঙ্গি। এক সপ্তাহ পর গতকাল ২৪ মার্চ বিমানবন্দরের কাছে একটি পুলিশের নিরাপত্তা চৌকির কাছে আরো একজন ব্যক্তি নিজের শরীরে বাধা বোমা বিস্ফারণে নিহত হন। দুই ঘটনার দায় নেয় কথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। তবে কি নিরাপত্তা বাহিনী এখন জঙ্গিদের মূল টার্গেট? জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নুর খান লিটন বলছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যেহেতু তাদের সাময়িক বাধার সৃষ্টি হয়েছে তাই তাদেরকে বিভ্রান্ত এবং মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। "বেশ কিছু ক্ষতি হওয়ার পর তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে, মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে, যাতে করে আরো জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে টার্গেট করা হচ্ছে" বলছিলেন মি. খান। গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলায় বিদেশী নাগরিকরা নিহত হন ঠিক যে মুহূর্তে সিলেটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান হচ্ছে তখনি ঢাকার পুলিশের চেকপোষ্টের কাছে বোমা বিস্ফারণের এবং সিলেটে দুটি বোমা বিস্ফারণের ঘটনা, মুল অভিযান স্থল থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন কেও কেও। নিরাপত্তা পরিস্থিতি যারা পর্যবেক্ষণ করেন তারা বলছেন অভিযানের পর জঙ্গি সংগঠন গুলো একটা সময় নেয় নিজেদেরকে আবারো সংগঠিত করার জন্য- পরে তারা ফিরে আসে। সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে। আব্দুর রব খান বলছেন নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিষয়টা সাম্প্রতিক হামলার কারণ কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয়। তিনি বলছিলেন "এর আগে টঙ্গিতে তাদের ছিনিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা হয়েছিল। সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে সামনে রেখে তাদের কার্যক্রমকে বাড়িয়ে দিয়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়। যদি সেটা হয় তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি সামনের দিন গুলোতে আক্রমণের মত কাজ গুলো বেড়ে যাবে"। এদিকে পর পর কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে এক নিরাপত্তা বার্তায় এ সতর্কতা জারি করা হয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। | ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশের একের পর এক জঙ্গি হামলার নতুন মাত্রা পায় ২০১৬ সালের ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার মধ্যে দিয়ে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইসলামিক স্টেটের কালো পতাকার আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলিম নারী-পুরুষ সেই জিহাদে যোগ দিতে যাওয়া হাজার হাজার মুসলিম যুবক এখন চরম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে গেছে। তারা দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছে, যদিও ফিরলে হয়তো গ্রেপ্তার এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তবে তথাকথিত 'ইসলামের শত্রুদের' নিশ্চিহ্ন করার বাসনা এখনো পুরোপুরি চলে যায়নি। দু সপ্তাহ আগে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি হোটেলে আল-শাবাব গোষ্ঠীর হামলা তার একটি উদাহরণ। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার বিরাট একটি অঞ্চলে এখনো বিপজ্জনক মাত্রায় জিহাদি হামলার হুমকি বিদ্যমান । সোমালিয়া, আফগানিস্তান বা ইয়েমেন এখনও জিহাদিদের আশ্রয়স্থল। কিন্তু পৃথিবীজুড়ে এখনও কিছু মানুষ কেন সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে? বিবিসির ফ্রাঙ্ক গার্ডনার কতগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছেন: সঙ্গদোষ, বন্ধুদের চাপ সুস্থ একটি স্বাভাবিক জীবন, পরিবার, সমাজ ছেড়ে বিপজ্জনক একটি পথে পা বাড়ানো একবারেই ব্যক্তিগত একটি সিদ্ধান্ত। যারা এই জিহাদি তৈরির জন্য কাজ করে, দলে লোক ভেড়ানোর কাজ করে, তারা মূলত বলে যে মুসলমানদের ওপর অবিচার হচ্ছে এবং সেই অবিচার দূর করা একজন মুসলিমের ধর্মীয় দায়িত্ব। গত ২০ বছর ধরে ইন্টারনেটে এ ধরণের প্রোপাগান্ডা ভিডিওর ছড়াছড়ি। সেসসব ভিডিওতে দেখানো হয়, কীভাবে বিশ্বের নানা জায়গায় মুসলমানরা অবিচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিছু ভিডিওতে কল্পিত শত্রুর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার উদাহরণ দেখানো হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খেলাফতের পর আইএসের ভবিষ্যৎ কী ২০১৭ কীভাবে বদলে দিল ইরাক-সিরিয়ার মানচিত্র? আফগানিস্তানে এখনও সুশাসনের অনেক মৌলিক উপাদানই অনুপস্থিত এগুলোর লক্ষ্য দুটো - এক, সহমর্মিতা এবং একইসাথে এক ধরণের লজ্জা এবং অপরাধবোধ তৈরি করা। এমন কথা বলা যে তোমরা ঘরে বসে রয়েছ আর ফিলিস্তিনে, সিরিয়ায়, চেচনিয়ায় তোমাদের মুসলিম ভাই-বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। দুই, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার দৃশ্য-সম্বলিত ভিডিওগুলো এমন সব তরুণ যুবকদের আকর্ষণ করে - যাদের সহিংস অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। অনেক সময় শুধু বন্ধুদের উস্কানিতে একজন মানুষ সহিংস কাজে উৎসাহিত হতে পারে। উস্কানি না থাকলে তার আচরণ হয়তো স্বাভাবিক ক্রোধের ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকতো। পরিবার এবং সমাজের সাথে যে সব তরুণ-তরুণীর সম্পর্ক আলগা, তাদেরকে দলে ভেড়ানো অপেক্ষাকৃত সহজ হয়। এসব তরুণ-তরুণী দেখে যে গোপন এসব সংগঠন তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে তারা বিকল্প একটি জীবনের প্রতি আকর্ষিত হয়। সেই জীবনটা যদি সুইসাইড বেল্টের ভেতর দিয়েও শেষ হয়, তাতেও তারা পিছপা হয়না। সুশাসনের অভাব মধ্যপ্রাচ্য কেন আন্তর্জাতিক জিহাদি-বাদের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ালো, তার কারণ রয়েছে। এ অঞ্চলের বহু দেশে দুর্নীতিবাজ, অগণতান্ত্রিক এবং নির্যাতনকারী সরকার রয়েছে, যারা যে কোনো বিরুদ্ধ-মতবাদকে শক্ত হাতে দমন করে। সিরিয়া তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। আট বছরের গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জয়লাভের পথে। কিন্তু যে হাজার হাজার মানুষকে তিনি জেলে পুরেছিলেন, জিহাদি গোষ্ঠীগুলো তাদের অনেককেই দলে টানতে পেরেছে। ১৫ই জানুয়ারি নাইরোবিতে হোটেলে জঙ্গি হামলায় ২০ জন মারা যায় সাদ্দাম হোসেন পরবর্তী ইরাকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়ারা যেভাবে সুন্নিদের অধিকার খর্ব করেছে, তাতে করে ইসলামিক স্টেট নিজেদেরকে সুন্নিদের রক্ষাকারী হিসাবে জাহির করতে সমর্থ হয়েছিল। আফগানিস্তানে শত শত কোটি ডলারের পশ্চিমা সাহায্য এলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয় সেদেশের একের পর এক সরকার। ফলে, তালেবানকে কখনই মোকাবেলা করা যায়নি। সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন সাহেল অঞ্চলে দারিদ্র এবং বেকারত্ব এতটাই প্রকট যে সেখান থেকে সহিংস জিহাদে লোক সংগ্রহ সহজ। ধর্মীয় দায়িত্ব আল কায়েদা, আই এস বা তালেবান সবসময়ই তরুণ তরুণীদের দলে ভেড়াতে ধর্মীয় আনুগত্যের কথা বলে। ধর্মীয় কট্টরবাদ বিশেষজ্ঞ ড. এরিন সল্টম্যান বলেন, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো তাদের আদর্শ এবং কর্মকাণ্ডের যুক্তি দিতে গিয়ে সবসময় ধর্মীয় দায়িত্বের যুক্তি দেয়। তারা বলে - সংগ্রাম, আত্মদান এই দায়িত্বেরই অংশ। যেমন নাইরোবিতে হোটেলে হামলার যুক্তি হিসাবে আল-শাবাব বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে তাদের দুতাবাস তেল আবিব থেকে থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতিবাদেই এই হামলা। জেরুজালেমের সাথে সারা পৃথিবীর মুসলিমদের একটি আবেগের সম্পর্ক। সে কারণেই হয়তো আল-শাবাব এখন জেরুজালেমের কথা বলে তাদের আবেদনের ক্ষেত্র সোমালিয়ার বাইরে প্রসারিত করতে চাইছে। সহিংস জিহাদের যে আদর্শ - তা হয়তো আরো কিছুকাল রয়ে যাবে, কিন্তু বিশ্বের সিংহভাগ মুসলিমই এটাকে সমর্থন করে না। শুধু গোয়েন্দা তৎপরতা বা পুলিশ দিয়ে সহিংস জিহাদ পুরোপুরি মোকাবেলা সম্ভব নয়। সাথে প্রয়োজন সুশাসন ও ন্যায় বিচার - যেগুলোর অভাব মানুষকে ক্ষুব্ধ করে এবং সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করে। | মধ্যপ্রাচ্যে খিলাফত বা আদর্শ একটি ইসলামী রাষ্ট্র তৈরির যে স্বপ্ন ইসলামিক স্টেট দেখেছিল তা বলতে গেলে ধূলিসাৎ হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | হামলার শিকার একটি বাড়ি বলা হচ্ছে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলা হয়েছে, যে স্ট্যাটাসকে ইসলাম ধর্মের অবমাননা হিসেবে দেখেছেন হামলাকারীরা। কিন্তু মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তালুকদার বলছেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ধর্ম অবমাননার বিষয় নেই বরং স্থানীয় রাজনীতির উপাদান আছে। তবে পূর্নাঙ্গ তদন্ত শেষেই বলা যাবে কি হয়েছিলো বা কেনো হয়েছিলো। মি. তালুকদার জানান, রবিবার সংঘটিত ওই ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। কী ঘটেছিল রোববার: ঘটনাস্থল মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধইর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামে সোমবার গিয়েছিলেন কুমিল্লার সাংবাদিক গাজীউল হক সোহাগ। মি. হক বলছেন, ওই গ্রামের অধিবাসী কিশোর দেবনাথ কিষান, যিনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন, তিনি গতস শনিবার দুপুরে ফেসবুকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে একমত পোষণ করে মন্তব্য করেন তার প্রতিবেশী শংকর ও অনিল নামে দু ব্যক্তি। এতে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয়রা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করে। রাতেই শংকর ও অনিলকে আটক করে পুলিশ। পরদিন রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কী করলে ধর্মীয় অবমাননা হয়? শাস্তি কি? ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, মৃতদেহে আগুন ধর্ম বইয়ের পাতায় ঔষধ নিয়ে পাকিস্তানে তোলপাড় বাংলাদেশের মানুষ কেন নির্মম হয়ে উঠছে? আরেকটি বাড়ি পরিস্থিতি শান্ত করতে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গুরা থানার ওসি রোববার বিকেলে কোরবানপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্প্রীতি সমাবেশ ডাকেন, যেখানে স্থানীয় ইসলাম ধর্মের নেতৃস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। সেই সমাবেশ থেকেই একদল লোক উঠে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বনকুমার শিবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আরেকটি দল শংকর দেবনাথের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও মন্দিরে আক্রমণ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীউল হক বলছেন, রবিবারের হামলায় ৮/১০ টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা হয়, যেখানে ২৯৬ জনকে আসামী করা হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা হয় কী লিখেছিলেন কিশোর দেবনাথ কিশোর দেবনাথ কিষান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ফ্রান্সে যেদিন একজন শিক্ষককে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটে, সেদিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন 'ফ্রান্সের ইতিহাস ও সংস্কৃতি যারা মানতে পারবে তারাই থাকবে। বাক স্বাধীনতার ওপর হামলা যারা করবে তাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি'। আমি সেটিকে সমর্থন করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেসবুকে"। কিশোর দেবনাথ জানাচ্ছেন, তার ওই স্ট্যাটাসের সাথে একমত হয়ে সেখানে মন্তব্য করেন তার দূরসম্পর্কের কাকা শংকর দেবনাথ। মি. দেবনাথ বলছেন, শুক্রবার থেকেই তিনি ফোন পেতে শুরু করেন এবং তাকে জানানো হয় যে তার নাম এলাকায় ভাইরাল হয়ে গেছে। কিশোর দেবনাথের ফেসবুক পোস্টেই নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিয়ে নানা মন্তব্য আসতে থাকেন তারই দীর্ঘদিন পরিচিত অনেকের কাছ থেকে। "যারা হুমকি দিচ্ছিলো এমন কয়েকজনকে আমি ইনবক্সে অনুরোধও করেছিলাম যে ভাই তোমরা এটা করোনা। আমি ফ্রান্সে থাকি, ফ্রান্সের পরিস্থিতি নিয়ে লিখেছি। কিন্তু তারা তাদের প্রচার চালাতেই থাকে", বলছিলেন মি. দেবনাথ। তবে কাদের সাথে তার এই কথা হয়েছে তাদের কারও নাম তিনি প্রকাশ করতে রাজী হননি। যেভাবে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি (যারা নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি) জানিয়েছেন, মূলত কিশোর দেবনাথেরই এক বন্ধু প্রথমে তার ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করেন ও পরে আরও অনেককে ট্যাগ করেন। এভাবেই এলাকার অনেককে ট্যাগ করে শেয়ার করতে থাকেন যে, ইসলামের নবীর অবমাননাকে সমর্থন করছেন কিশোর দেবনাথ, যা নিয়ে ওই এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে । যদিও পরে তারা তাদের ফেসবুক থেকে সব মুছেও ফেলেন। কিন্তু এর মধ্যে আরেকদল ব্যক্তি মিছিল আয়োজন করেন। তাদেরই একটি অংশ সরাসরি ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত এবং ভোটারদের বেশিরভাগও হিন্দু ফলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেও দু দফায় চেয়ারম্যান হয়েছেন বনকুমার শিব। এটিই তার বাড়িতে হামলার একটি কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ, যদিও পুলিশ বলছে তদন্ত শেষ হলেই তারা এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন। | ঢাকার কাছে কুমিল্লার মুরাদনগরের সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘর, উপাসনালয়ে হামলা এবং ভাংচুর নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | স্টকহোমের একটি পার্কে আসা কিছু পরিবার। তাদের ওপর কোন বিধিনিষেধ নেই যদিও সুইডেনে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে এবং মারা গেছেন ১০৫ জন। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ শীতের পর সুইডেনের রাজধানীতে যখন 'বাইরে বসে থাকার মতো' গরম পড়েছে - তখন লোকে তার সর্বোত্তম ব্যয়ভার করতে দ্বিধা করছে না। মারিয়াটরেট স্কয়ারে দেখা যাচ্ছে ভাইকিং দেবতা থরের বিশাল মূর্তির সামনে গোটা পরিবার বসে আইসক্রিম খাচ্ছে। ফুটপাতের কিনারায় বসে আছে তরুণ যুগলরা। এ সপ্তাহে শহরের নাইটক্লাবগুলোও খোলা ছিল। তবে রোববার থেকে ৫০ জনের বেশি লোক জড় হওয়া নিষিদ্ধ হচ্ছে। অবশ্য এটা বলতেই হবে - শহরগুলো কেমন যেন একটু ঠাণ্ডা - হৈচৈ-ব্যস্ততা কম। করোনা ভাইরাস: শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর করোনাভাইরাস সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? শহরের গণপরিবহন কোম্পানি এসএল বলছে, ট্রেন আর সাবওয়েতে লোকজন কমে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। শহরের প্রায় অর্ধেক লোক ঘরে বসে কাজ করছে। সুইডেনের কর্মক্ষম জনশক্তি প্রযুক্তির ব্যয়ভার এবং বাড়িতে বসে রিমোট-ওয়ার্কিং করতে অভ্যস্ত। ব্যবসা-সংক্রান্ত একটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এসবিআর-এর প্রধান নির্বাহী স্টাফান ইংভারসন বলছেন, "যে কোম্পানিরই এটা করার ক্ষমতা আছে, তারা এটা করছে, এবং তাতে কাজও হচ্ছে।" আসলে এটাই হচ্ছে সুইডেনের সরকারি স্ট্রাটেজির মূল কথা - নিজের দায়িত্ববোধ। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশা করছে - কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করেও এভাবেই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা যাবে। কঠোর নিয়ম-কানুন না করে এখানে দেয়া হচ্ছে নির্দেশিকা - অসুস্থ বা বয়স্ক হলে ঘরে থাকা, হাত ধোয়া, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করা, বাড়িতে বসে কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেন এক টিভি ভাষণে বলেছেন, "বড়দের বড়র মত আচরণ করতে হবে, আতংক সৃষ্টি করবেন না, গুজব ছড়াবেন না। এ সংকটে কেউ একা নয়, সবারই বড় দায়িত্ব আছে।" প্রকাশ্য় স্থানে কী আচরণ করতে হবে তা নিয়ে সুইডিশ সরকার কোন কড়া নির্দেশ জারি করেনি কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা সুইডেনে সরকারি কর্তৃপক্ষের ওপর মানুষের আস্থা অনেক উচ্চ। ফলে তারা নিজে থেকেই নির্দেশাবলী মেনে চলে। জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশগুলোয় একটি বাড়িতে কয়েক প্রজন্মের লোক বাস করেন। কিন্তু সুইডিশ বাড়ির অর্ধেকেই লোক থাকেন মাত্র একজন। এর ফলে পুরো পরিবারে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক কম। তা ছাড়া সুইডিশরা বাড়ির বাইরের জীবন ভালোবাসে এবং লোকের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখাটাকে কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। স্টকহোম চেম্বারের প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়াস হাটজিগিওর্গিওর মতে সুইডিশ এই পন্থা অন্য দেশের চাইতে যুক্তিসম্মত। স্টকহোমে একটি চুল কাটার দোকান, এখানে লোক আসা কমে গিয়েছে ইতিহাস বিচার করবে তবে এই 'সুইডিশ এপ্রোচের' অনেকে সমালোচনাও করছেন। সুইডেনের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের একজন এপিডেমোলজিস্ট এমা ফ্রানজ বলছেন, সরকারের এসব নির্দেশনা যথেষ্ট নয়। তিনি চাইছেন দোকানপাট বা জিমে লোকজন কীভাবে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করবে তার ব্যাপারে আরও স্পষ্ট নীতি নেয়া দরকার। করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে বিভিন্ন ব্যবসা সংকটে পড়েছে। ফলে অনেকে বলছেন, সুইডেনকে কৌশল পরিবর্তন করতে হবে, অন্য ইউরোপীয় দেশের মতই লকডাউন আরোপ করতে হবে। এমা ফ্রানজ বলছেন, "ইউরোপের রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন কীনা তা ইতিহাসই বিচার করবে। কোন পদক্ষেপ যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে তা কেউই জানে না।" | ইউরোপে বহু দেশে যখন করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন অবস্থা চলছে তখন একটি দেশ অন্য সবাইকে অনুসরণ না করে এমন এক পন্থা নিয়েছে যা স্বাভাবিক জীবনের অনেক কাছাকাছি। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সিরিয়ায় রেডিও আলওয়ান একটি স্বাধীন এবং রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ সিরিয় রেডিও স্টেশন ২০১৪ সালে সিরিয়ায় এর জন্ম, কিন্তু নির্বাসিত হওয়ায় তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সম্প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় মাথায় রাখা হয়েছে সিরিয়ার যুদ্ধ, কষ্ট আর যন্ত্রণার কথা। যে কারণে তাদের পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে ছিল কীভাবে হাসি ফোটানো যাবে শ্রোতাদের মুখে। কমেডি বা হাস্যরসাত্মক নাটক, কৌতুকের আসর আর নানা ধরনের ঠাট্টা-তামাশা ছিল রেডিওটির মূল আকর্ষণ। এমনকি তাদের মানসিক যন্ত্রণা লাঘবের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে ফোন-ইন অনুষ্ঠান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই রেডিওটির অবস্থা সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশের মতই বিধ্বস্ত। ব্রিটিশ সাংবাদিক এমা জেইন কিরবি শুরু থেকে রেডিওটির বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করছেন। বেশ কয়েকবার তিনি গেছেন রেডিও স্টেশনটিতে। তিনি বলেছেন, সেখানে সারাক্ষণই কেউ না কেউ নতুন কোন কৌতুকে মাতিয়ে রাখছে চারপাশ। এমনই ছিল সেখানকার পরিবেশ। এবার এমা যখন আরেকবার আলওয়ানে যাবার পরিকল্পনা করছেন, তখন রেডিওটির প্রজেক্ট ম্যানেজার সামি ভদ্রতা করে তাকে সরাসরি 'না' করেননি যেতে। সাত বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া কিন্তু যা বলেছেন, তার মানে দাড়ায় এসে কোন লাভ নেই আর, কেননা আলওয়ানের সব হাসি ঠাট্টা ফুরিয়ে গেছে। রেডিও আলওয়ানের বেহাল দশা কেন? কারণ আর কিছুই না, সাত বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া কেবল রক্তাক্তই নয়, কোথাও কোথাও শুকিয়ে খটখটেও হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় খবর আর নানাবিধ ভিন্ন পরিবেশনার অনুষ্ঠান নিয়ে সাজানো এই রেডিওটির অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় সব কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সিরিয়ার ভেতরকার সব অফিস বিধ্বস্ত, সাংবাদিকদের অনেকে পেশা বদলে ফেলেছেন। কেবল সিরিয়ার ইদলিবে ছয়জন কর্মী আছেন, যারা সেখানকার বাকী বাসিন্দাদের মত অজানা ভবিষ্যতের জন্য আশংকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ইদলিবে হামলার আশংকা সকলেই সন্ত্রস্ত উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় বহু অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বা এনজিওর মত 'রেডিও আলওয়ান'ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এক সিদ্ধান্তের খড়গের নিচে পড়েছে। গত ইস্টারের সময় মিঃ ট্রাম্প নিয়ম করেন, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটিতে কর্মরত সকল অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বা এনজিওকে ২০ কোটি ডলার অর্থায়ন করতে হবে। এরপর সামি সিদ্ধান্ত নেন ইদলিবে নতুন করে অফিস খোলার, কারণ সেটা তখন অন্যান্য জায়গার তুলনায় নিরাপদ ছিল। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কেমন রেডিও স্টেশন আলওয়ান? রেডিও স্টেশনটি সিরিয়ার মানুষের মনে আশার সঞ্চার করার চেষ্টা করতো। এখন দুজন নারী উপস্থাপক, দুজন পুরুষ উপস্থাপক, আর দুজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আটকে আছে ইদলিবে। নিজেদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে রাসায়নিক হামলার আশংকা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। "ওরা ভীত, কি হবে ধারণা করতে পারছে না। কিন্তু আমরা তো জানি পরিস্থিতি ঘৌটা আর দারার চেয়ে খারাপ হবে। কারণ ইদলিবে লোকের সংখ্যাই অনেক বেশি আর তুরস্ক তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ওখান থেকে কেউ পালাতে পারবে না।" আরো পড়তে পারেন:বিচারপতি এস কে সিনহার বই নিয়ে যা বলছে আওয়ামী লীগ বিদেশে বসে 'মনগড়া বই' লিখেছেন সিনহা: কাদের ইদলিব নিয়ে পরাশক্তি দেশগুলো যখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা পাল্টা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, সমাধান ছাড়াই বৈঠকের পর বৈঠক করছেন, তখনো সম্প্রচার চলছে আলওয়ানের। কেবল সংবাদ নয়, এখনও রেডিওতে প্রচার হচ্ছে কবিতা আর সাহিত্যের আসর, রয়েছে সঙ্গীত, সংস্কৃতি আর নারী ইস্যুর ওপর নিয়মিত আলোচনা। এমাকে সামি বলছিলেন, টিমের একজন একটা স্মার্টফোন জোগাড় করেছে, ফলে সামনের সপ্তাহ থেকেই আবারো শুরু হচ্ছে ফোন-ইন, অর্থাৎ যে অনুষ্ঠানে শ্রোতারা সরাসরি মতামত দিতে পারেন। সিরিয়ার সব মানুষের মতো এখন তাদেরও প্রত্যাশা বিনা রক্তপাতে কিংবা যত কম রক্তের বিনিময়ে দেশটিতে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত ইথারে মন ভালো করার পঙক্তিমালা পাঠাতে থাকবে আলওয়ান---বলছিলেন সামি। | রেডিও আলওয়ান একটি ছোট্ট, স্বাধীন এবং রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ রেডিও স্টেশন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা মনে করেন, যে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের মতই শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিকে এখনও প্রভাবিত করছে। মিজ. সুলতানা বলেন, "আমাদের রাজনীতিতি, নীতিমালাতে, সমস্ত কিছুতে ঐ হত্যাকাণ্ডের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।" আরো পড়ুন: শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড: রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী ছিল? শেখ মুজিব হত্যার পর ৩২নং রোডের বাড়ী কেমন ছিল? স্কুল শিক্ষার্থীরা শেখ মুজিব সম্পর্কে কতটা জানে "১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর কয়েকবছরের মধ্যের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে," এমনটাই ধারণা করেন মিজ. সুলতানা। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরপর বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে মিজ.সুলতানা বলেন, "পরিকল্পিত অর্থনীতি না থাকার কারণে সেসময় যেটা হলো - যে যেভাবে পারে মুনাফার দিকে ছুটলো। রাজনৈতিক দলগুলোও একই ধারা অনুসরণ করলো।" ঐ ধারার কারণেই এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজনীতিকের চেয়ে ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বেশি বলে মনে করেন মিজ. সুলতানা। তাসলিমা সুলতানা বলেন, "শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর যে অবিশ্বাস গেঁথে গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে এর শেকড় খুব গভীরে প্রথিত।" তাঁর মতে, বাংলাদেশে ১৯৭৫ পরবর্তী যে রাজনৈতিক দলগুলো এসেছে, তারা একসময় সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একসাথে আন্দোলন করলেও তাদের নিজেদের মধ্যে সবসময়ই অবিশ্বাস ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পুরো পরিবার হত্যাকান্ডের ঘটনা এখনো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই বিষয়ে আরো পড়তে পারেন: সংবিধানে শেখ মুজিব বাংলাদেশে মুজিবের মূল্যায়নে কতটা ঐকমত্য? "যে কারণে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি বাংলাদেশে", বলেন মিজ. সুলতানা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর কয়েকবছরের মধ্যের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে ধারণা করেন মিজ. সুলতানা। মিজ. সুলতানা মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাসের কারণেই কয়েকবার রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন না হয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। "কয়েকবার তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও বর্তমানে আবার আগের দশায় ফিরে এসেছি আমরা, দেখতে পাচ্ছি একধরণের অস্থিতিশীলতা।" মিজ. তাসলিমা সুলতানা মনে করেন এই অস্থিতিশীলতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাসের প্রকাশ এবং এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলছে না। আর তাঁর মতে, এই অস্থিতিশীলতা ও অবিশ্বাসের সূত্রপাত ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার হত্যাকাণ্ডের সময় থেকে। | ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পুরো পরিবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মার্চ মাস থেকে বন্ধ আছে ক্লাস ও পরীক্ষা বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যে কোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা আছে কি না। আর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলও নির্ভর করে এই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে পড়তে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতের মত কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ন্যুনতম গ্রেড প্রয়োজন হয়। তাই পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি'র ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি'র ফলাফল দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। যে ধরণের জটিলতা তৈরি হতে পারে বর্তমান নিয়মে বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের ৪০ ভাগ এসএসসি ও এইচএসসি'র ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই এই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা গবেষক সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, "এসএসসি'র ১০%, এইচএসসি'র ৩০% ও ভর্তি পরীক্ষার ৬০% নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় ঐ ৩০% আর থাকছে না, কাজেই ভর্তি পরীক্ষার ওপর জোর বেশি দিতে হবে।" এইচএসসি'র ফল এসএসসি ও জেএসসি'র ফলের গড়ের মাধ্যমে হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি'র ফল গণনা করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মনে করেন মি. রহমান। আরো পড়তে পারেন: ভর্তি পরীক্ষা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন ছাত্রী। জেএসসি পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের একই বিষয় পড়তে হয়। এসএসসি'তে বিভাগ আলাদা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা আলাদা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বলে এইচএসসি'র সব বিষয়ের ফল এই দুই পরীক্ষার গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, "যেই বয়সে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষা দেয়, সেই বয়সে তাদের মানসিক পরিপক্কতা আসে না। ঐ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি'র ফল নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গত বা বিজ্ঞানসম্মত নয়।" তবে যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি থেকে এইচএসসি'তে বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের ফল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন মি. রহমান। "কেউ হয়তো এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল, কিন্তু এইচএসসির সময় পরিবর্তন করে মানবিক বিভাগ নিয়েছে। ঐ বিভাগের নম্বরের ভিত্তিতে বর্তমান বিভাগে ফলাফল দেয়া হলে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না।" আর এই জটিলতার ফলে সরকারি প্রকৌশল এবং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন মি. রহমান। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার পর যেসব শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিদ্দিকুর রহমান। "পরীক্ষা না নিয়েই মূল্যায়ন করার ফলে বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়তো এই শিক্ষার্থীদের নিতে চাইবে না। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির উপর নির্ভর করে।" বুয়েট ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড়। পরামর্শক কমিটি কী বলছে? গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন জেএসসি ও এসএসসি'র ফলের ভিত্তিতে কীভাবে এইচএসসি'র ফল ঠিক করা হবে, তা নির্ধারণ করবে এই বিষয় সংক্রান্ত একটি পরামর্শক কমিটি। এই পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানান, ঠিক কোন নীতি অনুসরণ করে ফলাফল নির্ধারিত হবে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করা হচ্ছে। মি. হক বলেন, "কীভাবে জেএসসি পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো যুক্ত করে এইচএসসি'র বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল কমিটিও কাজ করছে।" তিনি জানান, এসএসসি থেকে এইচএসসি'তে যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে কমিটি। "শুধু বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় নয়, কারিগরি শিক্ষা বা মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। আবার প্রাইভেট, মান উন্নয়ন শিক্ষার্থীও আছে। এই প্রতিটি ক্ষেত্রই আমরা শনাক্ত করেছি এবং একটার সাথে আরেকটাকে সম্পৃক্ত করতে যা করা দরকার তা নিয়ে কাজ করছি।" নিজের ইচ্ছাতেই কি ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা? তবে এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়া হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শিক্ষার্থীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে না বলে মনে করেন জিয়াউল হক। "আমাদের দেশ থেকে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় তারা শুধু দেখে যে শিক্ষার্থী টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে কিনা। এরপর শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিই অবলম্বন করে।" "আর সারা পৃথিবীতে অনেক জায়গাতেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাবলিক পরীক্ষা বা এক্সিট এক্সামগুলো নেয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে যাচাই করা হবে বলে আমার মনে হয় না।" | করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি বছর জেএসসি ও এসএসসি'র ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মি: প্রাইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত মে মাস থেকে তিনি ২৬টি ব্যক্তিগত ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন, হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মি: প্রাইসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং ডন জে রাইটকে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টম প্রাইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, গত মে মাস থেকে তিনি ২৬টি ব্যক্তিগত ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন, যাতে অন্তত চার লাখ ডলার খরচ হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র্রে পেশাগত কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণের নিয়ম রয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এ নিয়মের বাইরে। অবশ্য মি: প্রাইস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন এ ধরনের খরচে তিনি খুব 'অখুশী'। বিবিসি বাংলার আরো খবর: অক্সফোর্ড থেকে সরানো হলো অং সান সু চির ছবি রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ করেছিল জাতিসংঘ 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' | যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইস পদত্যাগ করেছেন। সরকারি কাজে ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত ফ্লাইট ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠার পর মি: প্রাইস পদত্যাগ করলেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ন্যান্সি পেলোসি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট 'দায়বদ্ধতা প্রদর্শনে বাধ্য।' মি. ট্রাম্প কোনো ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই প্রয়াসকে পরিহাস করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে এই অভিশংসনের সমর্থন থাকলেও তদন্তে অগ্রগতি হওয়ার পর রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর এই বিতর্ক সামনে আসে। ঐ ফোনালাপে কী বিষয়ে কথা হয়েছে - সেবিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ডেমোক্র্যাটরা মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করলে ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। মি. জেলেনস্কির সাথে জো বাইডেনের বিষয়ে আলোচনা করার বিষয়ে স্বীকার করেছেন মি. ট্রাম্প, তবে তিনি বলেছেন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়ে তিনি ইউরোপের কাছ থেকে সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার, বিতর্কে মোদী ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এর আগে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছিলেন মিজ. পেলোসি কী বলেছেন? মিজ পেলোসি বলেছেন যে মি. ট্রাম্প 'আইন ভঙ্গ করেছেন', এবং মি. ট্রাম্পের কাজকে 'সাংবিধানিক দায়িত্বের লঙ্ঘন' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। "এই সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে পদক্ষেপ নিতে বলার বিষয়টি তাকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করবে।" "এর জন্য তাকে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে," বলেন মিজ. পেলোসি। মি. বাইডেন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট তদন্তে সহযোগিতা না করলে নিজেও অভিশংসনের বিষয়টিকে সমর্থন করছেন। মি. বাইডেন বলছেন, "মি. ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে ট্র্যাজেডি।" ২০২০ নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ সংসদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কী? সর্দিজ্বর: কেন হয় এবং কী করবেন? বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী? ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে মি. ট্রাম্প দাবি করেছেন, ডেমোক্র্যাটরা 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার জাতিসংঘ সফর বানচাল' করার উদ্দেশ্যে এই ধরণের অভিযোগ ছড়াচ্ছে। "এমনকি তারা ফোনালাপের ট্রানস্ক্রিপ্টও দেখেনি।" ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপ যে 'সম্পূর্ণ যথাযথ' ছিল তা নিশ্চিত করতে বুধবার তাদের ফোনালাপের একটি লিখিত ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করবেন বলে জানান মি. ট্রাম্প। হাউজের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি বলেন: "স্পিকার পেলোসি এই হাউজের স্পিকার হলেও এই বিষয়ে কথা হলে তিনি আমেরিকার জন্য কথা বলেন না।" "অভিশংসনের তদন্তের বিষয়টি তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।" এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত সংস্থার পরিচালক জোসেফ ম্যাগওয়াইর কংগ্রেসে ফোনালাপ ফাঁসকারী ব্যক্তির রিপোর্ট পেশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, ফোনালাপ ফাঁসকারী আইনপ্রণেতাদের সাথে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন এবং হোয়াইট হাউজ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঐ ব্যক্তিকে কংগ্রেসে কথা বলার সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। জো বাইডেন (ডানে) এবং তার ছেলে হান্টার, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এরপর কী হবে? মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটি যাচাই করতে পারবে যে এটি অভিশংসন করার মত গুরুতর অপরাধ কিনা। মিজ. পেলোসি তার ঘোষণায় জানিয়েছেন, অন্যান্য বিষয়ে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আরো ছয়টি কমিটির যে তদন্ত চলছে তা চলমান থাকবে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে বা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পর্যন্ত গেলে এটি সহজেই পাস হয়ে যাবে যেহেতু সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ডেমোক্র্যাটদের। কিন্তু তারপর এটি সিনেটে যাবে যেখানে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে এটি পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ একটি সংস্থা ইউগভ'এর একটি জরিপে প্রকাশিত হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ওপর জোর প্রয়োগ করেছিলেন, এটি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ৫৫% আমেরিকান অভিশংসন সমর্থন করবেন। | রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্য নেয়ার অভিযোগে মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | উল্লাসের চিত্র দেখা গেছে রাজধানী হারারের অলিগলিতেও। অনেকে চিৎকার করে, নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। একে মুগাবে যুগের অবসান বলে বর্ণনা করা হচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমে। তার এই ঘোষণার পরেই রাতারাতি যেন দেশের রাজনৈতিক আর সাধারণ মানুষের আচরণও বদলে গেছে। অনেক সংসদ সদস্য পার্লামেন্টের ভেতরেই চিৎকার করে আনন্দ করতে শুরু করেন। যে দেশটিতে এক সপ্তাহ আগেও বেশিরভাগ বিদেশী সংবাদ মাধ্যম ছিল নিষিদ্ধ, সেখানে অনেকে নেতাই এখন এসব সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আরো খবর: মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত টিলারসনের জীবন বাঁচিয়ে আজীবন ফাউ মাছের মাথা রবার্ট মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণার পর উল্লাস শুরু হয় পার্লামেন্টেও এই উল্লাসের চিত্র দেখা গেছে রাজধানী হারারের অলিগলিতেও। অনেকে চিৎকার করে, নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের এই আনন্দের কারণ ভয় বা ভীতি থেকে মুক্তি। কিন্তু মি. ক্ষমতার এই পালাবদলে কি পাল্টাতে চলেছে জিম্বাবুয়ে? সম্ভবত নয়। কারণ সম্ভাব্য নতুন নেতা, এমারসন ম্যানানগাগওয়া দীর্ঘদিন রবার্ট মুগাবের ক্ষমতার মধ্যেই ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের সব কাজে সহযোগিতা করে গেছেন। শুধুমাত্র যখন উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রশ্নে গ্রেস মুগাবের নাম সামনে এলো, তখনি তিনি ভিন্ন পথে হাটতে শুরু করলেন। তার মানে এটা পরিষ্কার যে, জিম্বাবুয়ের ঘটনা আসলে কোন বিপ্লব নয়, যে উদারপন্থী গণতন্ত্রপন্থীরা ক্ষমতায় চলে এলেন। নতুন নেতাদের উপর ব্যাপক কোন পরিবর্তনের চাপও নেই। দেশটির দুর্নীতির কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও হয়তো ততটা আকর্ষণ বোধ করবে না। তবে এটা ঠিক যে সাবেক প্রেসিডেন্টের মতো তিনি একচ্ছত্র ক্ষমতাও চালাতে পারবেন না। বিশেষ করে জানু-পিএফ পার্টির উপরেও তার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে দল একজন নেতাকে পাল্টাতে পারে, তারা সহজেই অন্য নেতাকেও বেছে নিতে পারবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, মানুষের মানসিকতার একটি পরিবর্তন ঘটেছে। গত চল্লিশ বছর ধরে তারা ভয়ের একটি পরিবেশে থেকেছেন। এই প্রথমবারের মতো তারা সেই পরিবেশে থেকে মুক্তি পেলেন। বিভক্ত বিরোধী দলগুলোও এবার একাট্টা হতে পেরেছে। হয়তো এই পরিবেশেই নতুন নেতার জন্ম হতে পারে। সামনের বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, যে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ রয়েছে সব দলের। সাধারণ দেশটির নির্বাচনে অনেক শোরগোল হয়। এবার দেখা যাক, নতুন নেতা মি. ম্যানানগাগওয়া তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরো উদার জিম্বাবুয়েকে তুলে আনতে পারেন কিনা। এ বিষয়ে বিবিসির আরো খবর: 'কেবল ঈশ্বরই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে' গ্রেস মুগাবে: স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি জিম্বাবুয়ের নতুন নেতার মুগাবে পদত্যাগ করেছেন, জিম্বাবুয়েতে উল্লাস | (বিবিসির আফ্রিকা বিষয়ক সম্পাদক ফার্গাল কিনের বিশ্লেষণ) |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সামনের দশকগুলোতে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সরবরাহ কিভাবে করা যাবে সেটা নিয়েই এতোদিন গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। আমরা যেসব খাবারে আমাদের প্লেট ভরিয়ে রাখি, সেখানে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন তারা। অবশেষে তারা একটি উপায় বের করেছেন। আর সেটা হল "দ্য প্লানেটারি হেলথ ডায়েট" অর্থাৎ পৃথিবী সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে। এই ডায়েটটি তৈরি করা হয়েছে মাংস এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ না দিয়েই। তবে প্রোটিন চাহিদার একটা বড় অংশ মেটাতে সেখানে বাদাম, বিভিন্ন ধরণের ডাল আর বীজ যুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হল ডায়েট থেকে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে বিকল্প প্রোটিনের উৎস্য খোঁজা। যেসব পুষ্টিকর খাবার আমরা এড়িয়ে যেতে চাই সেগুলোর প্রতি আগ্রহ জন্মানোর ওপরও তারা জোর দেন। আরও পড়তে পারেন: গুরুত্বপূর্ণ অথচ খাবারটি আপনি যথেষ্ট খাচ্ছেন না 'চারা গাছের আকৃতি বড় করার নতুন উপায় উদ্ভাবন' 'চারা গাছের আকৃতি বড় করার নতুন উপায় উদ্ভাবন' ফল, সবজি এবং বাদামী রুটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে খাদ্যাভ্যাসে কী ধরণের পরিবর্তন আনতে হবে? আপনি যদি প্রতিদিন মাংস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডায়েটে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা জরুরি। তার মানে এই নয় যে, আর মাংসই খাবেননা। মাংস খাবেন, তবে পরিমিত হারে। যেমন রেড মিটের কোন খাবার যেমন বার্গার যদি খেতেই হয় তাহলে সেটা সপ্তাহে একদিন খাবেন। বড় আকারের স্টেক মাসে একবারের বেশি খাবেননা। এছাড়া সপ্তাহের অন্য আরেকদিন মাছ বা মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারেন। আর বাকি দিনগুলোতে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে হবে বিভিন্ন উদ্ভিদজাত খাবার খেয়ে। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রতিদিন বাদাম, বীজ বা ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া নানা ধরণের ফল এবং সবজি খাওয়া বাড়ানোর কথাও জানান তারা। যেন সেটা প্রতিবেলার খাবার প্লেটের অন্তত অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকে। এছাড়া শ্বেতসারযুক্ত খাবার যেমন আলু বা কাসাভাও ডায়েটে যুক্ত করা যেতে পারে। খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরণের শস্য, ডাল ও বীজ যোগ করতে হবে। ডায়েটের পূর্ণ তালিকা: আপনি প্রতিদিন কোন কোন খাবার কি পরিমাণে খেতে পারবেন সেটা জেনে নিন। ১. বাদাম - দিনে ৫০ গ্রাম। ২. সিমের বিচি, ছোলা, বিভিন্ন ধরণের ডাল- দিনে ৭৫ গ্রাম। ৩. মাছ - দিনে ২৮ গ্রাম। ৪. ডিম - প্রতিদিন ১৩ গ্রাম (সপ্তাহে একটি অথবা দুটি ডিমের বেশি নয়) ৫. মাংস - লাল মাংস দিনে ১৪ গ্রাম এবং মুরগীর মাংস দিনে ২৯ গ্রাম। ৬. কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শস্যজাতীয় খাবার যেমন রুটি এবং চাল দিনে ২৩২ গ্রাম খাওয়া যাবে। এছাড়া আলুর মতো অন্যান্য শ্বেতসার সবজি দিনে ৫০ গ্রাম। ৭. ডেইরি বা দুগ্ধজাত খাবার দিনে ২৫০ গ্রাম। যা কিনা এক গ্লাস দুধের সমান। ৮. শাকসবজি - দিনে ৩০০ গ্রাম এবং ফল ২০০ গ্রাম। এছাড়া এই ডায়েটে চাইলে ৩১ গ্রাম চিনি এবং ৫০ গ্রাম তেল যেমন জলপাই তেল যোগ করা যাবে। ফল ও সবজি এগুলোর স্বাদ কি অনেক খারাপ হবে? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ওয়াল্টার উইলেট বলেছেন, না এসব খাবার মানেই যে স্বাদ ভাল নয়, এমনটা ভাবা ঠিক না। তিনি নিজেও এক সময় তিন বেলা লাল মাংস খেতেন। অথচ এখন তিনি নিজেকে এই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের আওতায় নিয়ে এসেছেন। মিস্টার উইলেট বলেন "খাবারের প্রচুর বৈচিত্র্য রয়েছে, আপনি হাজারো উপায়ে একটার সঙ্গে আরেকটা মিশিয়ে ওই খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন।" "আমরা কাউকে স্বাদ থেকে বঞ্চিত করতে এই ডায়েট প্রস্তুত করিনি। বরং এমন কিছু তৈরির চেষ্টা করেছি যেটা খাওয়া সহজ এবং উপভোগ্য।" এই খাদ্যাভ্যাস কেন প্রয়োজন? ইট-ল্যান্সেট কমিশনের অংশ হিসাবে বিশ্বের প্রায় ৩৭ জন বিজ্ঞানীর একটি দলকে একত্রিত করা হয়। সেখানে কৃষি থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন সেইসঙ্গে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। টানা দুই বছর গবেষণার পর তারা এই ডায়েট তালিকা তৈরি করেছেন, যেটা পরবর্তীতে ল্যানসেটে প্রকাশ করা হয়। এখন তাদের লক্ষ্য বিভিন্ন দেশের সরকার এবং ডাব্লুএইচও'র মতো সংস্থাগুলোর কাছে এই গবেষণা ফলাফল পাঠানো। যেন সব জায়গায় এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনা যায়। ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটিতে পৌঁছেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৭০ কোটি। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা এক হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে। যা কিনা বাড়তেই থাকবে। এই বাড়তি জনগোষ্ঠীর খাবারের যোগান নিশ্চিত করতে তারা এই গবেষনাটি করেন। মাংস কমিয়ে এই খাবারগুলো বেছে নেয়া যেতে পারে। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন কি জীবন বাঁচাবে? গবেষকরা বলছেন, যে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে যেসব অসুস্থতা হয়ে থাকে যেমন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কয়েক ধরণের ক্যান্সার, এগুলো উন্নত দেশের মানুষ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সেই হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এই ডায়েট কি পৃথিবীকে রক্ষায় সাহায্য করবে? গবেষকদের লক্ষ্য হল সামনের দশক-গুলোয় বিশ্বের বাড়তি জনসংখ্যার সবার খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা সেটা পরিবেশের ক্ষতি না করেই। যেখানে বরং, ১ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো যাবে। ২. জৈববৈচিত্রের যেসব প্রজাতি বিলুপ্ত যাচ্ছে সেগুলো রক্ষা করা যাবে। ৩. কৃষিজমি আর বাড়াতে হবে না। ৪. পানি সংরক্ষণ করা যাবে। তবে, শুধু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে খাদ্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্যের হার কমিয়ে আনা সেইসঙ্গে বিদ্যমান জমিতে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন কতটা বাস্তবসম্মত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় লাল মাংস খাওয়ার হার ব্যাপকভাবে কমাতে হবে। পূর্ব এশিয়াকে মাছের উপর নির্ভরতা এবং আফ্রিকায় শ্বেতসার সবজির খাওয়ার পরিমাণ কমানো প্রয়োজন। স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টকহোম রেসিলিয়েন্স সেন্টারের পরিচালক লাইন গর্ডন বলেন, " আগে কখনোই এই হারে এবং এই গতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়নি।" লাল মাংসের উপর কর বাড়ানো ডায়েটে পরিবর্তন আনার একটা উপায় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা। খাদ্য উৎপাদন গ্রহের জন্য কত খারাপ? বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী খাদ্য উৎপাদন ও বনের জন্য জমি ব্যবহার। এছাড়া বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপন্নের জন্যও যে পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হয় সেটা বিশ্বের সব রেলগাড়ি, উড়োজাহাজ বা অন্যান্য যানবাহনের চাইতেও অনেক বেশি। খাদ্য খাতের পরিবেশগত প্রভাব যদি আরও কাছ থেকে বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারের উৎপাদন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী খাদ্য উৎপাদন বিশ্বব্যাপী, গবাদি পশুর কারণে ১৪% থেকে ১৮% গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হয়ে থাকে। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী অন্যান্য গ্যাস যেমন মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডের নির্গমন সবচেয়ে বেশি হয় কৃষিখাতের কারণে। এছাড়া বায়ু দূষণের একটি প্রধান কারণ এই কৃষিজমি। কেননা এসব খামার থেকে অ্যামোনিয়ার সৃষ্টি হয়। যেটাকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) একইভাবে পানির ক্ষেত্রেও বড় ধরণের হুমকি এই কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন খাত। কেননা বিশ্বের ৭০% পরিষ্কার পানি ব্যবহার হয়ে যায় কৃষিজমি সেচের কাজে। | পৃথিবীকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি ডায়েট প্রস্তুত করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা দিয়ে সামনে দশকগুলোতে একশ' কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়ানো যাবে। আর এটা সম্ভব হবে আমাদের গ্রহের কোন ক্ষতি না করেই। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে পাঁচ হাজার বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙনে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার পাঁচ হাজারের মতো বাড়ি ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু আগেভাগে পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও সে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস বলছে, তাদের বাৎসরিক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস ছিল যে এবার বড় ধরণের ভাঙন হবে। ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের একজন নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জের বাসিন্দা মারিয়া আক্তার যূথী। মা, দুই বোন ও এক ভাইকে নিয়ে আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। "যে বাড়িতে আমি ছোট থেকে বড় হইছি, আমাদের সেই বাড়ির পেছনে সুন্দর একটা বাঁশঝাড় ছিল, ফুলের বাগান ছিল, একটা উঠান ছিল। তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে চোখের সামনে সবকিছু পদ্মা নদী হয়ে গেলো" - মৃত বাবার রেখে যাওয়া একমাত্র ভিটে বাড়িটুকু কিভাবে চোখের সামনে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে তার বর্ণনা করতে গিয়ে বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চোখের সামনেই নদীতে বিলীন হয়ে গেল তিনতলা এই বাড়িটি ভাঙন সম্পর্কে প্রায় চার মাস আগেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো, দাবি করেছে সরকারেরই একটি গবেষণা সংস্থা। যূথী বলছিলেন - যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতেন, যে স্কুলে পড়ালেখা করেছেন, তার কাছেই ছিল যে মসজিদ আর হাসপাতাল - সব কিছু এখন নদী গর্ভে। ঘরবাড়ি হারিয়ে কাঁদছেন এক মহিলা নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ও সাবেক একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান বলছিলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম তাদের এলাকায় ভাঙন দেখেছেন। আজ যেখানে পদ্মা নদী, তারও পাঁচ ছয় কিলোমিটার ভেতরে একসময় জমি দেখেছেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রথম তাদের গ্রামের কাছাকাছি আসতে শুরু করলো পদ্মার ভাঙন। মিঃ দেওয়ান বলছিলেন, তারা তখন থেকেই এলাকা রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২০১২ সালের দিকে দুই কিলোমিটার জায়গা বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তার অনেক যায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানালেন, এ বছর একটি বড় প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি করা হলেও সেটির কোন ধরনের বাস্তবায়ন তারা দেখেন নি। ভাঙনে তলিয়ে যাবার আগে জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় লোকেরা তিনি বলছেন, "গত বছর থেকে তীব্রতর ভাবে নদী ভাঙা শুরু করলো। তখন তেমন কিছু করা হয়নি। তবে এই বছর জানুয়ারি মাসের দুই তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুরেশ্বর থেকে কুন্ডেস্বর পর্যন্ত প্রায় নয় কিলোমিটার জায়গা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং নদীর মধ্যেখানে একটি চ্যানেল কেটে পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য একটি প্রকল্প পাশ করে দিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, এই যে নয়টি মাস চলে গেলো এ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে আমাদের কপালে এখন দুর্দশা।' কিন্তু এমন দুর্দশা যে নেমে আসছে সে ব্যাপারে আগেভাগেই পূর্বাভাস ছিল। সরকারের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস অন্তত চার মাস আগে তাদের বাৎসরিক প্রতিবেদনে এমন ভাঙনের কথা উল্লেখ করেছিলো বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সহকারী নির্বাহী পরিচালক ডঃ মমিনুল হক সরকার। তিনি বলছেন, "প্রতি বছর যেভাবে দেই এবছরও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো এবং এ বছর আমাদের পূর্বাভাস ছিল যে বিরাট ভাঙন হবে। আমাদের যে প্রেডিকশন, দেখা গেছে যে তা প্রায় ঠিকই আছে" ভাঙনে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা গত বারো বছর ধরে বাংলাদেশের নদী ভাঙন সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়ে আসছে এই সংস্থাটি। সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে তারা এমন প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। মিঃ সরকার বলছেন, এখন বর্ষার সময় তেমন কিছুই করা সম্ভব নয়। তিনি বলছেন, "বর্ষার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক সময় বালির বস্তা দিয়ে থাকে। বালির বস্তা যে সবসময় কাজ করবেই তা বলা যায়না তবে অনেক সময় সাহায্য করে। মুল কাজটি হওয়া উচিত এ বছর পরিকল্পনা করা যে আগামী বছর শুকনার সময় আমরা এই কাজটি করে ফেলবো। তাহলেই শুধু সম্ভব" কিন্তু এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই কাজ আরো অনেক আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। একটি স্থায়ী শহর রক্ষা বাঁধের কাজ আরো অনেক আগেই শুরু করা উচিত ছিল। কিন্তু সে ব্যাপারে ঠিক কি করা হচ্ছে জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেনের কাছে। তিনি বলছেন, "পানি কমলেই ওখানে এগারোশো কোটি টাকার প্রোটেকশন কাজ শুরু হবে। আর পদ্মার মাঝখানে যেখানে একটা চর ডেভেলপ করেছে ঐ চরটা কাটা হবে। এটা অনুমোদন হয়ে গেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে এর কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছে" কিন্তু ঐ এলাকায় অনেকদিন ধরেই ভাঙন হচ্ছে। স্থায়ী কিছু আরো আগেই করা উচিৎ ছিল কিনা তা জানতে চাইলে মিঃ হোসেন বলেন, "আমাদের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল সবসময় ভাঙে। তাহলে আমাদের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদীর পুরো দুই পারই বাঁধাই করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের মাটি হচ্ছে অ্যালুভিয়াল সয়েল। যদি এক পার বাঁধান তাহলে অপর পার ভাঙা শুরু করবে" তবে তিনি বলছেন এখন বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় এই অঞ্চলের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করা হয়েছে বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শিল্পে ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিনে দর্জি, রাতে ডাকাত: ধরা পড়লো ৩৩ খুনের আসামী হারিকেন ফ্লোরেন্স: বহু লোক সরে গেলেও বন্দীরা জেলে | বাংলাদেশে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাছে পদ্মা নদীর ভাঙন সম্পর্কে প্রায় চার মাস আগেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো, দাবি করেছে সরকারেরই একটি গবেষণা সংস্থা। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | তিনি বলেন, ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সোলেইমানির "সন্ত্রাসের রাজত্বের অবসান" হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানে কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন সোলেইমানি। ইরান অঙ্গীকার করেছে যে, তার মৃত্যুর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে "কঠোর প্রতিশোধ" নেয়া হবে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনাকে নতুন করে উস্কে দিয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, এর সতর্কতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে। এরই মধ্যে, ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, সোলেইমানিকে হত্যার ২৪ ঘণ্টা পরই দেশটিতে আরো একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ইরাকের একজন সামরিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই বিমান হামলায় ৬ জন মারা গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ইরাকের মিলিশিয়াদের একটি গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। ওই এলাকায় লড়াইরত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি বলেছেন? ফ্লোরিডায় নিজের মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ট্রাম্প শুক্রবারের হামলার বিষয়ে বলেন: "যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি ত্রুটিহীন ও নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়েছে যাতে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছে।" আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যা: এখন কেন এই ঝুঁকি নিলেন ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন তিনি বলেন: "সোলেইমানি আমেরিকার কূটনীতিক এবং সামরিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই বাজে ধরণের হামলার পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু আমরা তার সে কাজ ধরে ফেলেছি এবং তাকে হত্যা করেছি।" ইরান কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে? সোলেইমানির মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেন: "স্রস্টার উদ্দেশ্যে তার যাত্রা, তার পথ বা মিশনকে থামাতে পারবে না, অপরাধীদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে যারা তার এবং অন্য শহীদদের রক্তে হাত রাঙিয়েছে।" জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে, ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি বলেন যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তেহরানের। কাশেম সোলেইমানি কে ছিলেন? ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানিকে। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্স সরাসরি আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির কাছে জবাবদিহি করতো। সেখানে এর নেতৃত্বে থাকা সোলেইমানিকে বীরত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হতো। কুদস বাহিনীকে তার ২১ বছরের নেতৃত্বের সময় ইরান লেবাননে হেজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ইরান-পন্থী চরমপন্থিদের সহায়তা দিয়েছে; ইরাক এবং সিরিয়ায় সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে; সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে। | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, 'যুদ্ধ শুরু করতে নয় বরং বন্ধ করতেই' ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | আদালত প্রাঙ্গনে খালেদা জিয়া, ফাইল ফটো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার কারণে তিনি কারাগারে আটক আছেন। তবে খালেদা জিয়ার একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, জামিন হলেও খালেদা জিয়া এখনই কারাগার থেকে বাইরে আসতে পারছেন না। কারণ তাকে কুমিল্লায় নাশকতার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাজার কাগজপত্র নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে গিয়ে পৌঁছালে বিচারকরা তাকে জামিনের আদেশ দেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে জামিনের আদেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে, খালেদা জিয়া বয়স্ক নারী। তার শারীরিক কিছু সমস্যা আছে। এসব বিবেচনা করে তাকে চার মাসের জন্যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হলো। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার সাজার রায় হয়। এই জামিন আদেশের ফলে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকার পর জেলখানার বাইরে আসার জন্যে খালেদা জিয়ার জন্যে সুযোগ তৈরি হলো। | বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চার মাসের জন্যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কারণ অন্যান্য শিশুরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরা তাদের মানসিক বিকাশে নিয়মিত চিকিৎসা-থেরাপিসহ বিশেষ স্কুলে পরিচর্যার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীপ তাদের মত একজন। আন্তর্জাতিক অটিজম দিবস উপলক্ষে বিবিসি বাংলা জানার চেষ্টা করেছে করোনাভাইরাসে বদলে যাওয়া পৃথিবীতে কীভাবে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সে। বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে। ভিডিওটি বিবিসি বাংলার ইউটিউব চ্যানেলেও দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে। | মহামারির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ অনেকটাই বদলে গেছে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জীবন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট মায়ের ফোন কলটি খুব তাড়াতাড়িই রেখে দিয়েছিলেন তারা। প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স তখন ছিল ১৫ বছর আর প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল ১২ বছর। প্রিন্সেস ডায়ানার বিশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে সেখানে নিজের মাকে নিয়ে কথা বলেছেন উইলিয়াম ও হ্যারি। প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, "সেদিন এত তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে দিয়েছিলাম যে তা মনে করে সারাজীবন আমার আফসোস হবে"। প্রিন্সেস ডায়ানা যে কতটা মজার মানুষ ছিলেন এবং সন্তান বড় করার প্রক্রিয়া যে তার আলাদা ছিল 'মজার' ছিল সেই কথাগুলোই প্রামাণ্যচিত্রে বর্ণনা করেছেন তাঁর দুই ছেলে। উইলিয়াম ও হ্যারি বলেছেন, তাঁদের মা যেমন তাদের 'দুষ্টুমি' করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন তেমনি কিভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায় সে শিক্ষাও তিনি দিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারি বলেছেন তাঁর মা ছিলেন 'পুরোদমে একজন শিশু', যিনি রাজপ্রাসাদের বাইরের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানতেন। মা ও ছেলের যেসব ছবি আগে কখনো প্রকাশ হয়নি তা এই প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যাবে। প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে শৈশব কেমন কেটেছে তা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম। তারা বলেছেন তাদের জীবন গঠনে তাদের মা-এর প্রভাব কতটা। এই তথ্যচিত্রে প্রিন্সেস ডায়ানার ছবি রয়েছে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে, শিশু কল্যাণ, গৃহহারার মানুষ ও ভূমি মাইনের নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রিন্সেস ডায়ানার যে ভূমিকা তা প্রামাণ্যচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সঙ্গে তাঁর দুই ছেলেও রয়েছেন। ১৯৯৭ সালের ৩১মে আগস্ট গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা। প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন ওই অনুষ্ঠানের অংশ হওয়াটা প্রাথমিকভাবে 'কিছুটা কঠিন' হলেও 'মায়ের মৃত্যুর কষ্ট ভুলে যাবার একটা প্রক্রিয়া'ও ছিল সেটি। তিনি বলেছেন "মায়ের কাজ আর আমাদের ওপর তাঁর যে প্রভাব সেটা প্রকাশের অন্যতম একটা উপায় এটি"। তবে ডিউক অব ক্যামব্রিজ বলেছেন মায়ের মৃত্যুর আগে ফোনে তাদের শেষ যে আলাপ হয়েছিল তা 'সারাজীবন মনের মধ্যে বয়ে বেড়াতে হবে'। প্রিন্স উইলিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্সেস ডায়ানা যখন এই ছবিটি তুলেন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। "বিশ্বাস করো বা নাই করো, এই ছবিটিতে তুমি আমার সঙ্গে আছো"- অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারিকে বলেন ডিউক অব ক্যামব্রিজ। সেদিন তারা ছিলেন স্কটল্যান্ডে রানীর বাড়ি বালমোরালে, চাচাতো ভাইবোনদের সাথে খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। " হ্যারি এবং আমি ফোন রাখার জন্য খুব ব্যস্ত ছিলাম এবং খুব তাড়াতাড়ি 'বিদায়, পরে দেখা হবে' বলে ফোনটা রেখে দিলাম....যদি আমি যদি জানতাম এরপর কী ঘটতে যাচ্ছে, ওভাবে ফোনটা রেখে দিতাম না"- বলেন প্রিন্স উইলিয়াম। সাক্ষাৎকারে প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন, সেদিন সেই শেষ ফোনালাপে তাঁর মা কী বলেছিলেন এখনো সেটা মনে আছে-তবে সেই কথার বিস্তারিত তিনি জানাননি। প্রিন্স হ্যারি বলেন , "প্যারিস থেকে কল করেছিলেন মা। কী বলেছিলেন মনে নেই। কিন্তু ফোন কলটি এতই সংক্ষিপ্ত ছিল যে তার জন্য সারাজীবন আমি অনুশোচনা করবো"। আইটিভি'র ওই ডকুমেন্টারিতে দুই প্রিন্সকে দেখা যায় মায়ের সঙ্গে তাদের অপ্রকাশিত ছবির অ্যালবামগুলো দেখছেন। মায়ের স্মৃতিচারণ করে প্রিন্স হ্যারি বলেন, "আমার মা ছিলেন ভেতর ও বাইরে শিশুর মতো"। "যখন কেউ আমাকে বলে, 'তোমাদের মা মজার মানুষ ছিল, একটা উদাহরণ দাওতো' তখনই আমার মাথায় তার হাসির শব্দ শুধু বাজে আর বাজে। আমার মা বলতেন, তোমরা যত ইচ্ছে দুষ্টুমি করতে পারো শুধু চেষ্টা করবে যেন দুষ্টুমি ধরা না পড়ে"। "আমার মা ছিলেন দুষ্টুমি ভরা অভিভাবকদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা যখন ফুটবল খেলতাম সে সময় তিনি এসে দেখতেন এবং লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের মোজার মধ্যে মিষ্টি দিতেন"। ওই অনুষ্ঠানে যেসব ছবি দেখানো হয়েছে সেগুলো প্রিন্সেস ডায়ানার ব্যক্তিগত অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে। প্রিন্স উইলিয়াম বলে, "মা খুব সাধারণ ছিলেন এবং হাসি-ঠাট্টা-দুষ্টুমিতে মেতে থাকতেই তিনি বেশি পছন্দ করতেন। রাজপ্রাসাদের বাইরের জীবনটাকেও তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন, তিনি এক ধরনের 'জোকার' ছিলেন"। প্রিন্স উইলিয়াম মনে করেন বেঁচে থাকলে প্রিন্সেস ডায়ানা চমৎকার ও আমুদে একজন দাদী হতেন, বাচ্চাদের কাছে সবসময় দাদীর গল্প করে তাঁর স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন বলে জানান তিনি। প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির কাছে ডায়ানা হলেন "পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা"। প্রিন্স হ্যারির বয়স এখন ৩২ ও প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স ৩৫, তারা বলেছেন তাদের মা ডায়ানা ছিলেন 'শ্রেষ্ঠ মা'। | মা প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে শেষবার যে ফোনালাপটি হয়েছিল তা নিয়ে 'অনুতাপ' প্রকাশ করেছেন তাঁর দুই ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সোমবার পোস্তগোলা সংলগ্ন এলাকায় একটি লঞ্চডুবির পর উদ্ধার কাজ চলছে নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিভিন্ন ধরণের নৌযান। অন্য যোগাযোগ মাধ্যমের তুলনায় নিরাপদ এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের একটি বড় অংশ এখনো নৌপথেই হয়ে থাকে। যান চালনায় নিয়ম না মানা এবং অদক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে লঞ্চ বা ফেরি পরিচালনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্য পরিবহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এবং যান্ত্রিক ত্রুটি এমন নানা কারণে নৌপথে বড় বড় দুর্ঘটনাও ঘটে। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট বিডির গবেষণা অনুযায়ী, গত ২০ বছরে বাংলাদেশের নৌপথে বড় ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংস্থাটির একজন যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুজিবুল হক মুনির বলেছেন, লঞ্চডুবির বড় ঘটনার অনেকগুলোই ঘটেছে মেঘনা নদীতে। প্রাণহানির হিসাবে দেশের নৌপথে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার কয়েকটি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। বাংলাদেশের নৌযান কর্তৃপক্ষ, নৌনিরাপত্তা এবং যাত্রী পরিবহন নিয়ে কাজ করেন এমন সংস্থার সাথে কথা বলে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। পিনাক-৬ ২০১৪ সালের ৪ঠা অগাস্ট আড়াইশো'র বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। বাংলাদেশের নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, ওই লঞ্চটি তোলা সম্ভব হয়নি, এবং এর ধ্বংসাবশেষও কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বজনের খোঁজে নদী তীরে অপেক্ষা। (ফাইল ফটো) ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল, আর ৫০ জন যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাকীরা সাঁতরে এবং জেলেদের সহায়তায় তীরে উঠতে পেরেছিলেন। এমভি নাসরিন-১ ২০০৩ সালের ৮ই জুলাই ঢাকা থেকে ভোলার লালমোহনগামী এমভি নাসরিন-১ নামের লঞ্চটি চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ডুবে যায়। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালবোঝাইয়ের কারণে লঞ্চটির তলা ফেটে গিয়েছিল। ডুবে যাওয়ার সময় লঞ্চটিতে কত যাত্রী ছিলেন সে বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। তবে ওই দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাবে প্রায় সাড়ে ছয়শো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলছিলেন, মৃত্যুর হিসাবে এই লঞ্চডুবিকে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলা হয়। ২০১৪ সালে ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ এর উদ্ধারকাজ। এমভি সালাউদ্দিন-২ ২০০২ সালের ৩রা মে চাঁদপুরের ষাটনল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডুবে যায় সালাহউদ্দিন-২ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চ। আরো পড়তে পারেন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার, ধাক্কা দেয়া লঞ্চ 'জব্দ' ভিআইপি'র জন্য ফেরি আটকা, ছাত্রের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে মন্তব্য: শাজাহান খান যা বলছেন এতে ভোলা এবং পটুয়াখালীর প্রায় চারশো যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের করা একটি তদন্ত কমিটি নকশামতো লঞ্চ নির্মাণ না করায় মালিককে এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য মাস্টারকে অভিযুক্ত করে। এতে ওই লঞ্চের মালিককে জরিমানা এবং মাস্টারকে চাকরীচ্যুত করা হলেও অন্যদের শাস্তি হয়নি। এমভি রাজহংসী ২০০০ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ঈদুল আজহার রাতে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদীতে এমভি জলকপোত এবং এমভি রাজহংসী নামের দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাজহংসী লঞ্চটি পানিতে তলিয়ে যায়, সে সময় ওই লঞ্চের ১৬২ জন যাত্রী নিহত হয়েছিলেন। অ্যাটলাস স্টার ১৯৮৬ সালে অ্যাটলাস স্টার নামে একটি লঞ্চ ডুবে ২০০ জন যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। লঞ্চটি ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে ডুবে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ২০০৯ সালে ভোলার কাছে ডুবে যায় এমভি কোকো-৪ লঞ্চ। এছাড়া ২০০৫ সালে একটি ফেরী ডুবে গিয়ে ১১৮জন যাত্রী নিহত হন, এবং ২০০৫ সালে এমএল মিতালি ও এমএল মজলিশ নামে দুইটি ছোট লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ডুবে গিয়ে প্রায় ৩০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। কোস্ট বিডির মি. হক বলছিলেন, ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত নৌদুর্ঘটনার জন্য দেশে পাঁচশো'র বেশি মামলা চলছে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র একটি মামলার বিচার হবার নজির রয়েছে। | ঢাকার পোস্তগোলা সংলগ্ন এলাকায় মর্নিং বার্ড নামে একটি লঞ্চডুবির ঘটনার পর বাংলাদেশে নৌপথে নিরাপত্তা দুর্ঘটনার বিষয়টি আবারো সামনে চলে এসেছে। সোমবারের সেই লঞ্চ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বাবা মায়ের সাথে জারিফ। গত ২০শে নভেম্বর আহসান হোসেন জারিফ নামে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়। জারিফকে উদ্ধারের প্রচেষ্টায় তার পরের দু'দিন ধরে বহু তরুণ সন্দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। এই অপহরণের ঘটনাটি সবাইকে জানিয়ে দেয়ার জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করে। সেদিন গভীর রাতে অপহরণকারীরা জারিফের ব্যবহার করা স্কুল ড্রেসটি বাড়ির বাইরে ফেলে রেখে যায় যার ভেতরে ছিল একটি চিরকুট। আর তাতে মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। জারিফের বাবা মো. জ্যাকব সকালে সেই চিরকুট পেয়ে থানার সাথে যোগাযোগ করেন। তারপর কী হলো? মো. হেলাল খান, এস আই, সন্দ্বীপ থানা: এই ঘটনা জানাজানির পর প্রথমে একটি জিডি করা হয়। আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে আমরা এই অপহরণ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করি। এরপর স্কুল ভ্যান ড্রাইভারকে সনাক্ত করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। মুক্তিপণের চিরকুট পাশাপাশি এই কাজে আমরা সাধারণ মানুষকে জড়িত করি। জারিফের বাবা মো. জ্যাকব যেমন মাইকিং শুরু করেন। তেমনি আমরাও মাইকিং করি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সজাগ করার চেষ্টা করি। অপহরণকারীরা চিরকুটে যে মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়েছিল আমরা তার অবস্থান জানার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে এতটাই হৈচৈ শুরু হয় যে চার স্থানীয় যুবক সিদ্ধান্ত নেন তারাও তাদের মতো করে প্রশাসনকে সহায়তা করবেন। এরা হলেন: ফিরোজ খান পাবেল, হান্নান তারেক, সজিব খান এবং জাহিদ হাসান শাকিল। হান্নান তারেক, সন্দ্বীপ বাসিন্দা: জ্যাকব ভাইকে দেখে বুঝলাম তিনি অনেক হতাশ হয়ে গেছেন। ঠিক তখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেই। আমরা ঠিক করি পরের দিন ভোর থেকে আমরা সন্দেহজনক জায়গাগুলোতে নিজেরা তল্লাসি করবো। সকলের সহযোগিতা কামনা করে জ্যাকব ভাইয়ের একটি এক মিনিটের ভিডিও পোস্ট করি। যেটা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। হান্নান তারেক, উদ্ধারকারীদের একজন। জ্যাকব ভাই জানালেন রাতের কোন এক সময় জারিফের স্কুল ড্রেস ও সাথে একটা চিরকুট রেখে গেছে কেউ এক জন। চিরকুটে একটি ফোন নাম্বার ছিলো। আমরা সেটা আমাদের মোবাইলে সেভ করলাম দেখলাম ইমোতে তাহমিনা নামে একটা আইডি শো করছে। এটা আমাদের প্রথম ক্লু। জ্যাকব ভাইসহ উনার পরিবারের সবাইকে ছবি এবং এই নামে কাউকে চেনে কিনা জিজ্ঞাস করলাম। কিন্তু কেউ চিনলেন না। পরের দিন পুলিশ যখন মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করে জানালো যে সেটা গত নয় দিন ধরে বন্ধ। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আমাদের টিম একমত হলাম যে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা এই ক্লু ধরে নিজেদের মত আগাবো। জারিফ অপহৃত হওয়ার পর ফেসবুকে তার বাবার ভিডিও বার্তা। প্রথমে রবির নাম্বারটা নিয়ে চট্টগ্রামে আকবর নামে আমাদের এক ফ্রেন্ডকে ফোন করে সাহায্য চাই। নাম্বারটা কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা তা বের করে দিতে বলি। সে জানালো সে শুধু আইডি নাম্বার আর ডেট অব বার্থ দিতে পারবে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেটা পেয়ে গেলাম। এখন কাজ আইডি কার্ড বের করা। কিন্তু সকাল হওয়ায় সব বন্ধ থাকায় তখন নেয়া সম্ভব ছিলো না। মো. হেলাল খান, এস আই, সন্দ্বীপ থানা: আমাদের ওসি স্যার, সার্কেলের স্যার এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সাহায্যে আমরা আইডি কার্ড-এর তথ্য জোগাড় করি। সেই তথ্য ইমোতে পাওয়া নামের সাথে তা মিলে যায়। পাওয়া যায় ঠিকানা। যা জারিফদের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে না। জারিফ অপহরণে অভিযুক্ত তাহমিনা। আরও পড়তে পারেন: তরুণরা এবার আওয়ামী লীগকে কতটা সমর্থন দেবে? নির্বাচনে হেফাজত কেন কোন দলকেই সমর্থন করবে না? বরিশালের বর ক্যালিফোর্নিয়ার কনে নিয়ে কেন এই আলোচনা যেহেতু আমিসহ বেশ কয়েকজন কয়েক মাস ধরে থানায় আছি, তাই আমরা সামনে থাকলে চিনে ফেলতে পারে। সেই জন্য আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা ঐ বাড়িটিতে অভিযান চালাবো খুব গোপনে। এবং ভাগে ভাগে। ঠিক হলো প্রথমে তিন-চার জনের একটা দল ঐ ঠিকানায় যাবে। আমরা পুলিশের লোকজন ২০০/৩০০ গজের মধ্যেই থাকবো। ফোন করা মাত্রই আমরা হাজির হয়ে যাব। হান্নান তারেক, সন্দ্বীপ বাসিন্দা: শুরু হলো আমাদের অভিযান। দর্জি পুকুর মোড়ে জারিফের বাবাকে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আমাদের টিমের সজিবকে রাখা হয় অবস্থা বুঝে জারিফের বাবাকে নিয়ে যেতে। জাহিদ, ফিরোজ এক মোটর সাইকেলে। আমি আর এলাকার অন্য একজনসহ (তিনি আমাদের প্ল্যানের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না) আমরা আমাদের টার্গেট বাড়ি থেকে একটু দূরে মোটর সাইকেল রেখে অবস্থান নেই। এর মধ্যে সেখানে বাউরিয়া ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রবিউল মাওলা চলে আসেন। তাকে দিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে ফোন করে আনা হয়। কারণ আমরা যে বাড়িতে ঢুকবো সেটা ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। জারিফ অপহরণের খবরে স্থানীয় থানায় উদ্বিগ্ন মানুষ। এখানে বলে রাখি যেহেতু আমরা প্রশাসনের কেউ না তাই কোন বাড়িতে সার্চ করতে গিয়ে যাতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সে জন্য আমরা স্থানীয় মেম্বারদের সাহায্য নিয়েছি। এছাড়াও আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি কারণ অপহরণকারীরা সংঘবদ্ধ হতে পারতো। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারতো। কিন্তু সব ঝুঁকি ছাপিয়ে আমাদের কাছে মুখ্য ছিল জারিফকে উদ্ধার করা। মো. হেলাল খান, এস আই, সন্দ্বীপ থানা: স্থানীয় মেম্বারকে সাথে নিয়ে আমাদের দল তাহমিনার ঘর খুঁজে বের করে। তাহমিনার ঘরের সামনে একজন দাঁড়ানো দেখে নাম জিজ্ঞাস করার পর সে নিজেকে ফাহিমা বা অন্য একটা নাম বলে। কিন্তু ভ্যান ড্রাইভারের বিবরণে বলা হয়েছিল জারিফকে যে মহিলা নিয়ে গেছে সে প্রেগন্যান্ট ছিল। ঐ মহিলাও প্রেগন্যান্ট দেখে তাকে আটক করা হয়। তার নাম, বাবার নাম এবং তার আইডি'র ছবি থেকে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল। তখন ফিরোজ তার ঘরে ঢুকে পড়ে। অন্ধকার ঘরে ঢুকে সে দেখে কম্বল জড়ানো একটি শিশুকে বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। এরপর জারিফকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। ফোন পাওয়া মাত্র আমাদের ফোর্স গিয়ে সেখানে হাজির হয়। ঐ মহিলাকে আটক করা হয় এবং জারিফকে তার বাবার কোলে তুলে দেয়া হয়। এই ঘটনার পর আটক মহিলার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আমরা আরও কয়েকজনকে আটক করেছি। মামলার তদন্ত এখনও চলছে। রোববার ২৫শে নভেম্বর জারিফ অপহরণ মামলার আসামীদের কোর্টে তোলা হবে। ফিরে আসার পর মায়ের হাতে খাবার খাচ্ছে জারিফ। | সন্দ্বীপের সাড়া জাগানো শিশু অপহরণের ঘটনায় পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ যেভাবে একসাথে কাজ করেছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর ব্যাগের ভেতর সংরক্ষণ করতে হয়। এভাবে কলোরাডোর রকি পর্বতমালার মাঝখানে গোপন একটি ভবনে মৃত প্রাণীর এক ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চলা পশু পাচারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করছে ইউএস ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ড-লাইফ সার্ভিসে এবং ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ প্রপার্টি রিপোসিটরি-এটি বন সংরক্ষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য সংস্থা। মার্কিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিভিন্ন বন্দরে এবং অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদে আটক করা অবৈধ বন্যপ্রাণী এবং পণ্য নিয়ে আসা হয়। ২২ হাজার বর্গফুট আয়তনের গুদামঘরটিতে বারো লাখের বেশি ধরনের মৃত বাঘ, হাতির শুঁড়ের বাতি, হাজার হাজার ভালুকের নখ, চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন পণ্য থেকে প্যাঙ্গোলিনের চামড়ার কাউবয় বুটজুতো ইত্যাদি উপকরণ মজুদ রয়েছে । এলিসা ডাহলবার্গ এবং সারাহ মেটযার -যাদের উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি এটা যেন আলাদীনের মৃত্যুর গুহা। এই সংগ্রহশালাতে কেবল মৃত পশু-প্রাণী রাখা হয় তেমনটি নয়, বরং বিরল গাছপালা এবং গাছ থেকে তৈরি পণ্যও রয়েছে। এসবের অনেক পণ্য বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসরণ করে আনা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গত বিশ বছরে এসেছে সাতটি নতুন রোগ জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সারা মেটযার চারবছর ধরে সংগ্রহশালায় কাজ করেছেন। তার কাছে এটা কেবল প্রাণীদের কোন অন্তিম ঠিকানা নয় কিন্তু এটি নতুন কোনও সূচনা ঘর যেখানে এসব পণ্যের নতুন করে শুরু করার সুযোগ। "এটা কোন সমাধি ক্ষেত্র নয়, তাদের নতুন এক উপায়ে নতুন উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে। এটা ভুল ধারণা যে, যেসব বস্তু আমাদের কাছে আসে সেগুলো এরপর কেবল চিরকালের জন্য তা বসিয়ে রাখা হয়, এবং ধুলোয় মলিন নয়, আসলে তা নয়। এসব বস্তু যেন তার প্রজাতির প্রতিনিধি। এসব উপকরণ যখন প্রথম জব্দ করা হয় হুবহু সেরকম রাখা হয়েছে। বন্যপ্রাণী নিয়ে বৈশ্বিক ব্যবসা বহু প্রাণী বিলুপ্তির বড় একটি কারণ। অক্টোবর মাসে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, পৃথিবীর প্রতি পাঁচটি মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি পাচারকারীদের শিকার হয়ে নিয়ে আসা হয় এবং বন্যপ্রাণীর বাজারে বেচে দেয়া হয়। কেবল মাত্র সাতজন কর্মী , মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা সম্পদ, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, বন সংরক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে চালু করা হয়েছিল এই সংগ্রহশালা। কেবলমাত্র ছোট্ট একটি অংশ সাধারণ ব্যক্তিদের উন্মুক্ত, এবং সেটা পূর্বানুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট দিনে হতে হবে। ইউএস ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের ন্যাশনাল ফরেনসিক গবেষণাগারের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সংগ্রহশালা, কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এই সংগ্রহশালার নিজস্ব স্থান দরকার এবং সুতরাং এই স্থান নির্ধারণ করা হয়। "বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চিড়িয়াখানা, প্রাকৃতিক নিদর্শন-কেন্দ্র এবং যাদুঘর-এসব বিভিন্ন সত্ত্বা পরিবেশগত শিক্ষার কাজ করে অথবা সংরক্ষণ কাজ অবশ্যই এখানে কিছু উপকরণের অভিগমনের অধিকার পাবে শিক্ষাগত এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য"। সব প্রাণীকে এমনভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয় যাতে তারা কাছাকাছি থাকতে পারে। সংরক্ষণাগারের পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে কেবল প্রাণী, উদ্ভিদ বা জীবজন্তু আমদানি করা হয় তেমনটি নয়। এর একটি পূর্নাঙ্গ শাখা রয়েছে যারা অবৈধভাবে পাচারের সময় ধরা পড়া উত্তর আমেরিকার পশু-প্রাণী নিয়ে কাজ করে। মিজ মেটযার বলেন, "এইসব বন্দরের প্রবেশ পথে এবং অপরাধ তদন্তের সময় জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসলে যা জব্দ করা হয়, তার হিসেবে এখানে আপনি যা দেখবেন তা সিন্ধুতে কেবল একটি বিন্দুর মত। আমরা কী গ্রহণ করছি সে ব্যাপারটি খুবই সুনির্দিষ্ট কারণ আমরা নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতি তুলে ধরতে চাই যেগুলো অবৈধ চোরা-কারবারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। অনেক অনেক ফ্যাশন আইটেম দিয়ে ভরা সংগ্রহশালাটি। গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প-এর প্রশাসন বিপন্ন প্রজাতি রক্ষার আইনের বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে। বর্তমানে এটি আমেরিকায় ১৬০০-র বেশি প্রজাতির সুরক্ষা দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিপন্ন গাছপালা এবং প্রাণী ও প্রজাতিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া সুরক্ষা অপসারিত হবে এবং বিপন্ন প্রজাতির তালিকা থেকে প্রজাতির বাদ পড়ার প্রক্রিয়া সহজ করবে। এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন নিরপেক্ষ বন সংরক্ষকরা। বড় বড় বিড়ালের সমাহার ঘটেছে সেখানে। এই গুদামঘরে মৃত বিশাল বিশাল বিড়াল রয়েছে, তারা নানা রকম ভঙ্গিমায় রয়েছে। এর কারণ বড় বিড়ালের চামড়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ সবসময়ই খুবই মূল্যবান শিক্ষাগত উপকরণ। "আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু প্রজাতিকে তুলে ধরার জন্য এগুলো ব্যবহার করছি এবং যেগুলো খুব খুব বেশি মাত্রায় হারিয়ে যাওয়ার হুমকিতে সেগুলোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি", বলেন মিজ মেটযার এসব উপকরণ যেভাবে আটক করা হয়েছিল সংগ্রহশালায় ঠিক সেরকমই রাখা হয়েছে। কর্মীরা নতুন আসা উপকরণ সাজাচ্ছে। "আমরা এগুলো কোনভাবেই পরিবর্তন করছি না। এগুলো যেভাবে আমাদের কাছে আসবে সেভাবেই রাখা হাবে"। "যখন দর্শনার্থীরা বা স্কুল শিক্ষার্থীরা আসে তারা এগুলোর সাথে একাত্ম হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে প্রশংসা কুড়ানো, সচেতনতা বাড়ানো, এবং এসব প্রজাতি সম্পর্কে জানানো সম্ভব" এমনই মনে করেন মিজ মেটযার। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সংগ্রহশালাকে আরো হাতের নাগালের আনার চিন্তাভাবনা চলছে। এই গুদামে কমপক্ষে তিন হাজার ভাল্লুকের নখযুক্ত থাবা রয়েছে। এই ভবনটি কোনও মিউজিয়াম বা যাদুঘর নয়, বলেন মিজ মেটযার, "এইসব বস্তু সংরক্ষণ করার জন্য নয়, এগুলো দূর করার জন্যই আমরা কাজ করছি"। সমগ্র ব্যবস্থাটি পরিচালিত হয় অনন্য এক উপায়ে অর্জিত এক তহবিলের অর্থ থেকে। আর তা হল নির্দিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সময় বিভিন্ন জরিমানা এবং ফি থেকে অর্জিত অর্থ। কোন কোন উপকরণ বাজেয়াপ্ত করার পরে সংগ্রহশালায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে বছরে বছর খানেকও পেরিয়ে যেতে পারে। এই সংগ্রহশালার কোন প্রাণীর আকার-গড়ন পরিবর্তন করা হয়না। যেমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে থাকা এই মৃত বাঘটি যেন মানুষ খেকো বিশাল বিড়াল কখনো কখনো বাড়ি পরিচ্ছন্ন করার সময় কেউ কেউ এই সংগ্রহশালায় কোন উপকরণ দান করতে আগ্রহী হলে তারা চাইলে এর বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রমও চালাতে পারে। পুরনো প্রজন্মের যেরকম মূল্যবোধ ছিল তরুণ প্রজন্মের মূল্যবোধ একইরকম নয়, বলেন মিজ মেটযার। "সুতরাং তাদের কাছে এসব উপকরণের জন্য একইরকম সহজাত মূল্যায়ন পাবে না, এবং একই সাংস্কৃতিক বন্ধন হবে না। ফলে তারা এটিকে দায়বদ্ধ-ভাবে নিষ্পত্তি করে দিতে চায় এ ধরনের কোন সংগ্রহশালায়।" অন্যান্য খবর: জীবন বাজি রেখে ব্রিটেনে আসতে মরিয়া ভিয়েতনামীরা চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে সাকিবের বিরুদ্ধে নোটিস ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয় | আমেরিকার কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের ঠিক বাইরে একটি বিশাল গুদামঘরে রয়েছে অদ্ভুত কিছু বস্তুর সমাহার। মৃত বাঘ, হাতির শুঁড় এবং পাঙ্গোলিন কাউবয় বুট। বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম একটি ধাপ বলা যায় এটি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জুনেই এসেছে ১৮৩ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স যা মাসের হিসেবে সর্বোচ্চ লকডাউন ও করোনার জের ধরে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি পার করে গত সতেরই জুন গ্রামের বাড়িতে বাবার কাছে টাকা পাঠিয়েছেন তিনি এবং এবার একটু বেশি পরিমাণেই পাঠানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। "এই দু:সময়েও টাকা পাঠিয়েছি যাতে বাবা-মা ও আমার পরিবার কোনো সমস্যায় না পড়ে। দেশের এই অবস্থায় তারা যেন সুন্দরভাবে চলতে পারে। বেশি করে টাকা পাঠিয়ে এমনকি আমি বাবাকে বলেছি যে আশেপাশের লোকজন যারা সংকটে পড়েছে তাদেরকেও যেন কিছুটা সহায়তা করেন," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিস্টার হোসেন। আবার সৌদি আরবেই গৃহপরিচারিকার কাজ করেন লাভলী খাতুন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে তিনি বাড়িতে টাকা পাঠাননি। কিন্তু জুনের প্রথম সপ্তাহে তিনি বাড়িতে থাকা তার মা ও মায়ের কাছে থাকা দুই সন্তানের জন্য বেশি করে টাকা পাঠিয়েছেন। "আগে দু মাস পাঠাইনি। আবার সামনে ঈদ আসতেছে। তাই ভাবলাম এই সুযোগে একটু বেশি করে পাঠাই। নিজের জমানো কিছু ছিলো আর রিয়াদের কাছেই আমার এক আত্মীয়ও থাকে, ওনার কাছ থেকে ৫০০ রিয়াল ধার করে সব এক সাথে বাড়ি পাঠাইছি," বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। ঢাকার দোহারের এক গ্রামে থাকা লাভলী বেগমের মা মনোয়ারা বেগম বলছেন মেয়ের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে এপ্রিলে তাকে টাকা ধার করতে হয়েছিল। এখন অতিরিক্ত অর্থ পেয়ে আগে দেনা শোধ করেছেন। "বাড়তি টাকাটা মেয়ে না পাঠালে তো বিপদে পড়ে যেতাম," বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি । এভাবেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের পাঠানো টাকা অর্থাৎ রেমিটেন্সে তৈরি হয়েছে একটা নতুন রেকর্ড, যার ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে গত বৃহস্পতিবার। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: 'দেশে হাত পাততে পারতেছি না, বলতেও পারতেছি না' প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরি হারানোয় আর্থিক সংকটে দেশে থাকা পরিবার করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর আপনার করণীয় কী, কতটা সাবধান হতে হবে? নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যার পর যেভাবে নির্মমতা নেমে আসে অন্যদের ওপর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি বড় সংখ্যক শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় কাজ করেন গত বছরের শেষার্ধে চীনের উহানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের যে ধারা শুরু হয়েছিলো তার ঢেউ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আসার পরপরই রেমিটেন্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন কম বেশি সবাই। এর মধ্যেই সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে লকডাউনের কারণে প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি হারানো বা কাজ না পাওয়ার খবরে আশংকা ছিল রেমিটেন্স নিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ বা ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছিল। এবারে ত্রিশে জুন দিন শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু জুনেই এসেছে ১৮৩ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স, যা মাসের হিসেবে সর্বোচ্চ। আর মহামারির মধ্যেও এমন খবরে খুশি সরকারি মহলও, যার প্রমাণ হলো বছরের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার রাতেই অর্থমন্ত্রীর একটি বার্তা, যা গণমাধ্যমে পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। যদিও এর আগে মার্চের দিকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমতে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে রেমিটেন্সের জন্য ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার। রেমিটেন্সের নেতিবাচক প্রবাহ ঠেকাতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলো সরকার জুনে রেকর্ড রেমিটেন্সের কারণ কী? মধ্যপ্রাচ্যে লকডাউনের পর প্রবাসীরা যে বিপাকে পড়েছিলেন তার রেশ পড়তে শুরু করে মার্চের দিকে। কিন্তু জুন নাগাদ এসে পরিস্থিতি পাল্টে রেমিটেন্সের নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার কারণগুলো নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ । রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মেহেদী হাসান বলছেন এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে, যা অনেকে চিন্তাই করতে পারেনি। "এটি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি-দায়ক। তবে এর কারণগুলো বলা খুব কঠিন। কারণ সময়টা আসলেই ভালো নয়। আমরা আগামী দুই তিন মাস পর্যবেক্ষণ করবো। তারপরেও হয়তো রেমিটেন্সের গতি প্রকৃতি ও কারণগুলো সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব হবে," বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রেমিটেন্স বাড়ার সম্ভাব্য কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন মিস্টার হাসান। এগুলো হলো: ১.লকডাউন চলার কারণে অনেক দিন কাজ ছিল না। এখন লকডাউন উঠে গেছে। লকডাউনের কারণে যারা মাঝের সময়ে টাকা পাঠাতে পারেননি তারা গত মাসে সেটা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন হয়তো বাড়িতে বাড়তি টাকা পাঠিয়ে। ২. লকডাউনের সময় অনেকেরই কোন কাজ ছিল না, ফলে আয়ও ছিল না। নিজের জমানো যা ছিল তা খরচ করতে হয়েছে নিজের জন্য। ফলে হয়তো বাড়িতে পাঠাতে পারেনি। এখন লকডাউন উঠে যাওয়ার পর অনেকেই নতুন করে কাজ শুরু করেছেন। তারাও রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন যতটা সম্ভব বেশি করেই। ৩. করোনা পরিস্থিতির জের ধরে অনেক কোম্পানি শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এজন্য যাদের ছুটি দেয়া হচ্ছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু অতিরিক্ত অর্থও দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। গত মাসের রেমিটেন্সে তারও একটি অবদান থাকতে পারে। ৪. আবার করোনা অবস্থার কারণে সার্বিকভাবে কাজের সুযোগ কমে গেছে। অনেক দিন ধরে আছেন ও ভালো টাকা পয়সা জমিয়েছেন, এমন অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে সৌদিতে যেহেতু কাজের সুযোগ এখন কম, তাই বরং সব টাকা নিয়ে দেশে গিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করি। সে কারণেও অনেকে বাড়তি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন যা রেমিটেন্স প্রবাহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। রিয়াদে থাকা বাংলাদেশি সাংবাদিক সাগর চৌধুরী বলছেন তিনি এ নিয়ে প্রবাসীদের অনেকের সাথেই কথা বলেছেন। তাতে তার ধারণা হয়েছে যে প্রবাসী বাংলাদেশি বিশেষ করে শ্রমিকরা জানে বাংলাদেশের গ্রামীণ বাস্তবতায় পরিবারের কোনো সদস্য বিদেশে থাকলেও অন্যরা সেই পরিবারকে ধনী ভাবতে শুরু করে। "শ্রমিকরা জানে তাদের পরিবারকে দেশে কেউ সহায়তা করবে না, বিদেশে পরিবারের সদস্য আছে এই যুক্তি দিয়ে। সে কারণেই লকডাউন ও কারফিউতে বিপর্যস্ত হয়েও তারা জুনে এসে বাড়তি টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেছেন দেশে থাকা পরিবারকে," বলছিলেন মিস্টার চৌধুরী। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের একটা বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত শ্রমিকদের থেকে প্রতিকূল বছরেও রেমিটেন্স ও রিজার্ভে উল্লম্ফন: আর কোনো কারণ আছে? অর্থনীতির গবেষক ড: জায়েদ বখত বিবিসি বাংলাকে বলছেন দেশে মানুষের আয় উপার্জন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় গত মাসে প্রবাসীরা নিজেদের সঞ্চিত অর্থ থেকে বা অনেকে ধার দেনা করেও পরিবারের জন্য টাকা পাঠিয়েছেন, তারই প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে। "আবার অনেকে হয়তো দেশে শিফট করবেন- সেজন্য ধীরে ধীরে জমানো টাকা দেশে আনার কাজ শুরু করেছেন বলেও রেমিটেন্স বেশি এসেছে বলে মনে হচ্ছে," বলছিলেন তিনি। এর বাইরে গত বছর সরকার যে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল, তারও ইতিবাচক প্রভাব রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে রেমিটেন্সের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও এআইআইবির ঋণ সহায়তারও ভূমিকা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেক কমে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমে আসার কিছু ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন মি. বখত। | সৌদি আরবের রিয়াদে থাকেন বাংলাদেশের চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ইকবাল হোসেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আক্রান্ত ট্যাংকারগুলোর একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয় নি। রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হরমুজ প্রণালীর ঠিক বাইরে ফুজাইরাহ বন্দরের কাছে এ ঘটনা ঘটে। সৌদি আরব জানায় আক্রান্ত জাহাজগুলোর মধ্যে তাদের দুটি তেল ট্যাংকার রয়েছে এবং সেগুলোর বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে। বাকি দুটি জাহাজের একটি আমিরাতের পতাকাবাহী, এবং অপরটি নরওয়েতে নিবন্ধীকৃত। সৌদি আরব, আমিরাত বা নরওয়ে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন দেশকে এ জন্য দায়ী করে নি। একটি ট্যাংকারের তলায় ছিদ্র হয়েছে আক্রান্ত জাহাজগুলোর দুটির নিচের অংশে ফুটো হয়ে গেছে বলে ছবিতে দেখা যায়। বার্তা সংস্থা রয়টার খবর দেয়, কোন অস্ত্রের আঘাতে এই গর্ত হয়েছে। এছাড়া ফুজাইরাহ বন্দরে 'বিস্ফোরণ ও আগুনের' খবরও বেরোয় তবে আমিরাত কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। ঘটনার পরই একটি মার্কিন সামরিক তদন্ত দল পাঠানো হয়। কিন্তু এ আক্রমণ কারা চালালো? এ ব্যাপারে খুব কম তথ্যই জানা গেছে। হরমুজ প্রণালী হচ্ছে ইরানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা এবং এখান দিয়ে বিশ্বে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের এক পঞ্চমাংশ সরবরাহ হয়। ইতিমধ্যেই এর পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ইরান। ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে একটি তৃতীয় দেশ এ আক্রমণের পেছনে থাকতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নাম উল্লেখ না করলেও ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করতেই এধরণের ভাষা ব্যবহার হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' হরমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয় এ অঞ্চলে তেলের ট্যাংকারের ওপর আক্রমণ আগেও হয়েছে। ২০০১ সালে ইয়েমেনের আল-কায়দা এমন আক্রমণ চালিয়েছিল। তা ছাড়া সোমালি জলদস্যুরা ওমান উপসাগরে, আর লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছিল। এর ঘটনার একদিন পরই ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি তেল স্থাপনার ওপর কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। বিবিসির বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, আগেকার আক্রমণগুলোর তুলনায় ট্যাংকারগুলোর ক্ষতি হয়েছে খুবই কম। কোন আগুন লাগেনি, তেল চুইয়ে পড়েনি। "কিন্তু এ জায়গাটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির ভেতর দিযে যাচ্ছে, তাই সময়টাই সন্দেহজনক ও বিপদজনক।" তিনটি দেশের চারটি ট্যাংকার আক্রান্ত হয়েছে তার মতে, নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সবশেষ আক্রমণটি কে চালিয়েছে তা বের কর কঠিন হবে। ইরানের সাম্প্রতিক হুমকি, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন তবে গত মাসেই ইরান হুমকি দিয়েছিল যে ইরানি তেল আমদানিকারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আবার বলবৎ হলে তারা এই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে - অর্থাৎ কোন জাহাজই চলাচল করতে দেবে না। কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরে বিমানবাহী জাহাজ পাঠিয়েছে কয়েকদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'ইরানী হুমকির ইঙ্গিতের' কারণ দেখিয়ে ওই এলাকায় মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ, উভচর জাহাজ, এবং কাতারে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠায়। তবে ইরান সংক্রান্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ বাধাতে চায় না। তবে তার ভাষায় একের পর এক যেসব হুমকি আসছে, তার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, "আমরা ইরানকে এই বার্তা দিতে চাই যে আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের নারী ক্রিকেটের তারতম্য কতটা? 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে 'রক্ত' ঝরে | গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক অন্তর্ঘাতী আক্রমণের ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রের এই জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই ইসলামী প্রজাতন্ত্রে বেশি কিছুদিন ধরে রহস্যজনক-ভাবে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ইরানের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন তেহরানের পার্শ্ববর্তী দুটি শহর গার্মাদারেহ্ এবং কোদস্-এ তারা সর্বশেষ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু এসব বিস্ফোরণ শহর দুটি কোন্ জায়গায় ঘটেছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। ইরানে সর্ব-সম্প্রতি বিস্ফোরণগুলিতে পরমাণু কেন্দ্র এবং তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মাসেই ইরানের আণবিক শক্তি দফতর স্বীকার করেছে যে নাতাঞ্জের পরমাণু কেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছিল। নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রের মূল ভবন। সম্পর্কিত খবর: ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন, 'ব্যাপক' ক্ষয়ক্ষতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ এই ঘটনায় সে দেশের পরমাণু কর্মসূচি অনেকখানি পিছিয়ে গেছে বলে বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের বিষয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় আইআরআইবি বার্তা সংস্থা বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এনিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে। সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রেস টিভি বলছে, মানুষ তিন থেকে চারটি মর্টারের গোলার আওয়াজ শুনতে পান। গার্মাদারেহ'র কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীও শহরে বিস্ফোরণ সম্পর্কে পোস্ট দিতে থাকেন। কিন্তু তারা যেসব ছবি ব্যবহার করেন সেগুলো পুরনো বলে বিবিসি নিউজের বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে। কোদস্-এর গভর্নর লেইলা ভাসেগি সরকারি বার্তা সংস্থা ইরানকে জানিয়েছে, ঐ শহরে স্বল্পস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা ছিল একটা হাসপাতালে। কোদস্-এর একজন এমপি বলছেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের রুটিন কাজের সময় এই বিভ্রাট ঘটেছে। অন্যদিকে, গার্মাদারেহ্'র মেয়র জানাচ্ছেন, তার শহরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি বলছে, নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হবে না। কিছু ইরানী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এসব হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ইরানে আমাদের তৎপরতা সম্পর্কে মুখ না খোলাই ভাল।" | ইরানের সরকার রাজধানী তেহরানের কাছে নতুন করে বিস্ফোরণের খবর অস্বীকার করেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করেন মিজ. সুলতানা। বিএনপিসহ অনেকগুলো বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটেছে বলে মনে করেন মিজ. সুলতানা। "সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অর্থবহ হয়", বলেন মিজ. তাসলিমা সুলতানা। "অন্যান্য দল যেহেতু মাঠে আছে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন হলে একটা চাপ সরকারি দলের ওপর থাকবে।" নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি: শাপে বর হতে পারে? সরকার তাদের কঠোর অবস্থান ধরে রাখলে নির্বাচনের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জোটের হয়ে প্রচারণা চালাতে পারার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি জোটের জন্য ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন মিজ. সুলতানা। মিজ. সুলতানা বলেন, "গত কিছুদিন ধরে সেরকম শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল না থাকায় দেশের সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়েছে।" "জনগণ দেখেছে অন্য কোনো মতকে কোথাও থাকতে দেয়া হচ্ছে না।" এই কারণেই বিএনপি'র প্রতি মানুষের এক ধরণের সহানুভূতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন মিজ. সুলতানা। মিজ. সুলতানার ধারণা, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপি'র জন্য সহানুভূতি তৈরি করতে পারে, যা নির্বাচনে তাদের জন্য ভালো ফলাফল পেতেও সহায়তা করতে পারে। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া বিএনপির কি কোন উপায় আছে? সিট ভাগাভাগি - কতটা ভোগাতে পারে বিএনপিকে? নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক কেন? সরকারের সাথে সংলাপে বিএনপি সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা 'গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য ছাড় দিতে প্রস্তুত বিএনপি' বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, "বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই।" "সরকার কোনো দাবিই মানে নাই, আমাদের নেতাকর্মীদেরও ক্রমাগত গ্রেফতার করা হচ্ছে।" জনগণকে একটি বিকল্প উপায় দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বলেন মি. খান। তবে মি. খান মনে করেন, মনোনয়ন দেয়ার প্রক্রিয়া বিএনপি'র জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। "বিশ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট, দুই জোটেই বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক দল। কাজেই এই দুই জোটের অনেক প্রার্থী বিএনপি'র প্রতীকে নির্বাচন করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক।" 'ঐক্যফ্রন্টে বিএনপিকে ছাড় দিতে হবে বেশি' বিএনপি'র সাথে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের অনেক শরিক দলই আপত্তি তুলেছিল। সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মি. খান বলেন, "এটি এখনো সমস্যা হিসেবে প্রতীয়মান হয়নি, সমস্যা হিসেবে আসলে তখন দেখা যাবে।" মি. খান মনে করেন, ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টে সবচেয়ে বেশি ছাড় দিতে হবে বিএনপিকেই। "কিন্তু দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য এই ছাড় দিতে প্রস্তুত আমরা।" মি. খান জানান নির্বাচনের তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর থেকে একমাস পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার কমিশনারের সাথে বৈঠক করবেন তারা। | বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ইমেইল ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্যার কিম ডারখের এসব বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের কড়া সমালোচনা রয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউজকে 'অদ্ভুত ও নিষ্ক্রিয়' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। ব্যাপক কূটনৈতিক ক্ষোভের মধ্যে হাউজ অব কমন্সে আহবান জানানো হয়েছে যে, পুরো ব্যাপারটির যেন পুলিশি তদন্ত হয়। পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? এর প্রতিক্রিয়া কতদূর গড়াতে পারে? এটা কি 'লিক' নাকি 'হ্যাক'? ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বারবার বলেছে, এখানে তথ্য ফাঁস হয়েছে, হ্যাকিং নয়। প্রথমে পুরো ঘটনাটিকে তারা খুব বেশি গুরুত্বের সাথে না নিলেও পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। এই তথ্য ফাঁস হওয়া কোন ষড়যন্ত্রের অংশ অথবা ব্রেক্সিট পরিকল্পনার অংশ বলে যেসব ধারণার কথা বলা হয়েছে, সেসব নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী স্যার অ্যালান ডানকান। তিনি একে একটি 'জঘন্য তথ্য ফাঁস' বলে বর্ণনা করেছেন এবং ভেতর থেকেই এটি ফাঁস হয়েছে বলে বলেছেন। হোয়াইট হাউজের একটি সূত্র দি টাইমসকে জানিয়েছে: 'এই ঘটনায় শত্রুভাবাপন্ন কোন রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেয়া যায় না।' তবে ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখানে বিদেশি কোন শক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: গোপন বার্তায় ট্রাম্পকে নিয়ে যা বলেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সোশাল মিডিয়াকে কেন যুক্তরাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট এসব ইমেইল কত মানুষ দেখতে পারে? মন্ত্রী, এমপি বা বিশেষ উপদেষ্টাদের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছেন, তারা শুধুমাত্র তাদের ব্যাপারেই তদন্ত করবে, যাদের এসব ইমেইলে প্রবেশাধিকার রয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ইমেইল সরকারের ভেতর কতজন কর্মকর্তা দেখার সুযোগ পান, এমন প্রশ্নের জবাবে স্যার অ্যালান বলেছেন, তার ধারণা, প্রায় একশোজন ব্যক্তি এটা দেখে থাকতে পারেন, যদিও সেটা ইমেইলের গোপনীয়তার মাত্রার ওপর নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা সাবেক একজন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং স্যার কিমের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেছেন, এখানে বেশ অনেক ব্যক্তির দায় থাকতে পারে, যাদের কেউ এসব ইমেইল ফাঁস করে থাকতে পারেন। স্যার ক্রিস্টোফার মেয়ার বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামে বলেছেন, ''এটা পরিষ্কার যে, কেউ একজন ইচ্ছাকৃত ভাবে স্যার কিমের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বের ক্ষতি করার জন্য এটা করেছেন, যাতে তিনি অগ্রহণীয় হয়ে পড়েন এবং তথ্য ফাঁসকারীর পছন্দের কেউ এই দায়িত্ব লাভ করতে পারেন।'' কীভাবে তথ্য ফাঁসের তদন্ত করা হয়? কূটনীতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে কমন্সে আহবান জানানো হয়েছে যাতে এই ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে। কমন্সের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহাট এমপিদের বলেছেন, তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন যে, এক্ষেত্রে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা যায় কিনা। সার অ্যালান বলেছেন, তথ্য ফাঁস নিয়ে কোন অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তখনি পুলিশ আসতে পারে। তিনি কমন্সে বলেছেন, '' এখানে যদি অপরাধের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই, পুলিশ এখানে জড়িত হতে পারবে।'' গত এপ্রিল মাসে হুয়াওয়ে লিক ঘটনার পর লর্ড ওডোনেল, সিভিল সার্ভিসের সাবেক প্রধান জানিয়েছিলেন যে, এ ধরণের পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে - দায়ীদের সনাক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মোবাইল ফোন এবং ইমেইল রেকর্ড যাচাই করে দেখতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখ কি শাস্তি হতে পারে? যে ব্যক্তি বা মানুষজন 'মেইল অন সানডে' পত্রিকার কাছে এসব ইমেইল ফাঁস করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের আওতায় বিচারের জন্য অভিযোগ আনা হতে পারে। এই আইনের আওতায় বিচারের ঘটনা খুবই কম, তবে একেবারেই যে ঘটেনি তা নয়। তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা বড় অংকের জরিমানা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ঢাকা শহরে রিকশার ভবিষ্যৎ কী ৫৮৬ কেন্দ্রে সব ভোট নৌকা মার্কায় প্লেনে ভিআইপি বিতর্কে ৪ ফ্লাইট কর্মী বরখাস্ত | ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের গোপনীয় বেশ কিছু ইমেইল ফাঁস হয়েছে, যেসব ইমেইলে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ সমালোচনা করেছিলেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মোহিনি দেবি নাথ: গুজব ছড়িয়ে তার বোনকে আহমেদাবাদে পিটিয়ে মারা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে যে বাইরে থেকে ছেলেধরার দল এসেছে। ওই ভিডিওটির উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে সেটি পাকিস্তানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৈরী শিক্ষামূলক প্রচার ফিল্মের অংশ। গুজরাট থেকে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা সহ নানা রাজ্যে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। ত্রিপুরার পুলিশ বলছে, ২৭ আর ২৮ তারিখ সেরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে ৪ জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন সুকান্ত চক্রবর্তী বলে এক যুবক, যাঁকে ছেলেধরার গুজব রোধ করতে গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে পাঠিয়েছিল সরকার। একজন নারীকেও ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনতার রোষে পড়ে মারা গেছেন উত্তরপ্রদেশ থেকে ত্রিপুরায় নানা জিনিষ ফেরি করতে আসা এক ব্যক্তি। যারা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন পরে হাসপাতালে মারা যান। ত্রিপুরা পুলিশের মুখপাত্র, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী ইন্সপেক্টর জেনারেল ক্ষিতিরঞ্জন দাস বলছিলেন, "কদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে এই ছেলেধরার গুজবটা ছড়াচ্ছিল। মানুষ সেই গুজবে বিশ্বাস করে অনেক জায়গাতেই বহিরাগতদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছেন। যেখানেই আমরা জানতে পেরেছি এরকম ঘটনা, সেখানেই উদ্ধার করে আনা হয়েছে। কিন্তু তারমধ্যেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরকম কয়েকটা ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। সবকটি ঘটনা একই ধরণের। কোনও বিশেষ ডিজাইন রয়েছে কী না এর পেছনে, সেটাও আমাদের তদন্তের অন্যতম দিক।" হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও শেয়ার করে ছেলেধরার গুজব ছড়ানো হচ্ছে ত্রিপুরা দক্ষিণাঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরিন্দম নাথ জানাচ্ছিলেন ঘটনাগুলির তদন্ত যদিও এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করে সন্দেহ করা হচ্ছে যে গাঁজা এবং ফেন্সিডিলের মতো মাদকবিরোধী অভিযান যেসব এলাকায় চালাতে শুরু করেছে পুলিশ, সেই সব এলাকাতেই ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কী না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গুজব ছড়ানো আটকাতে বৃহস্পতিবার থেকে সেরাজ্যে মোবাইলে এস এম এস আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্তও তা চালু হয় নি। তবে শুধু ত্রিপুরা নয়, এই একই গুজব গত মাস দেড়েকে ভারতের নানা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মেসেজগুলির বয়ান মোটামুটি একই রকম, কিন্তু একেকটি এলাকায় সেগুলিকে অনুবাদ করে দেওয়া হচ্ছে। একটি ছোট ভিডিও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে মেসেজের সঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাও লাগানো হয়েছে ভারতে ভারতে ভুয়ো খবর বা ছবির উৎস খুঁজে বার করে, এমন একটি ওয়েব পোর্টাল, অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ওই ভিডিওটির উৎস তারা খুঁজে পেয়েছেন। মি. সিনহার কথায়, "যে ভিডিওটি এইসব গুজব রটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি আসলে পাকিস্তানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৈরী একটি সচেতনতামূলক ফিল্মের অংশ। সেখান থেকে একটি ছোট ক্লিপ কেটে নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ছবিও ছড়ানো হচ্ছে - যেগুলি নানা জায়গা থেকে যোগাড় করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যে যেসব মেসেজ ছড়িয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষন করে আমরা দেখছি যে কাছাকাছি কোনও এলাকায় ছেলেধরার ঘটনা হয়েছে, এমনটাই লেখা হচ্ছে।" মেসেজগুলি আসল কী না, তা খতিয়ে দেখার তাগিদও কেউ অনুভব করছে না। চেনাশোনা মানুষের কাছ থেকে একাধিকবার আসছে, তাই বিশ্বাস করে ফেলছে মানুষ, বলছিলেন প্রতীক সিনহা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনওরকম বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাই নেই। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক দিয়ে তারা অশিক্ষিতই থেকে গেছেন। তারা যা দেখছেন, তাতেই বিশ্বাস করে ফেলছেন। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপরে নজরদারি কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, এধরণের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রেও রয়েছে বহু রকমের জটিলতা। কথা বলেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে সাইবার অপরাধের জন্য নিযুক্ত স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসেকিউটর বিভাস চ্যাটার্জীর সঙ্গে। "গুজব ছড়ানোর মতো ঘটনার জন্য শাস্তির বিধান আইনে আছে ঠিকই, কিন্তু সমস্যাটা হয়ে যায় এরকম ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রেই। এগুলো পুরোপুরি ইলেট্রনিক তথ্য-প্রমাণ নির্ভর তদন্ত। কোন ছবি বা কোন টেক্সট কে ছড়াচ্ছে, সেটা খুঁজে বার করা ফেসবুক প্রভৃতির ক্ষেত্রে সহজ। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ, যেগুলি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে, সেগুলো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। আবার যখন সার্ভিস প্রোভাইডারদের ওপরে তথ্যের জন্য নির্ভর করতে হয়, সেই প্রক্রিয়াটাও খুব জটিল। কারণ এইসব কোম্পানিগুলি অধিকাংশই বিদেশী, এবং তারা তদন্তকারীদের প্রাইভেসি ক্লজ দেখিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে চায় না সবসময়ে," বলছিলেন মি. চ্যাটার্জী। ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির একের পর এক ঘটনা এখন সামনে এলেও অতীতেও এই ঘটনা হয়েছে কলকাতাতেও। ১৯৮২ সালে কলকাতার বালিগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে কলকাতার কাছেই বানতলাতে ছেলেধরা সন্দেহে গণধর্ষণ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক নারী কর্মকর্তা সহ তিনজন সরকারী স্বাস্থ্য অফিসারকে। একজন মারা যান। | ভারতে গত দেড়মাসে অন্তত ১৪জন মানুষকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি হয়েছে ত্রিপুরায়, যেখানে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | শাহজালালাল বিমানবন্দর এধরনের সোনা চোরাচালানের একটি নিয়মিত রুট কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আবদুল কাদের এবং আলমাস হোসাইন কলকাতা থেকে আসা একটি ফ্লাইট পরিষ্কার করার সময় উড়োজাহাজের সিটের নিচের অংশে একটি প্যাকেট দেখতে পান। প্যাকেটে চোরাই পথে আনা সোনা থাকতে পারে এই সন্দেহের ভিত্তিতে তারা এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরে আনে এবং প্যাকেটগুলো তাদের হাতে তুলে দেয়। পরে প্যাকেট খুলে ভেতরে প্রতিটি ১১৬ গ্রাম ওজনের ৬০টি সোনার বার পাওয়া যায়। উদ্ধার করা সোনার মোট ওজন প্রায় সাত কিলোগ্রাম। কর্মকর্তারা বলছেন জব্দ করা সোনার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। বুধবার ঢাকায় শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের এবং আলমাস হোসাইনের ব্যক্তিগত সততার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননার মধ্যে রয়েছে একটি ক্রেস্ট ও একটি প্রশংসাপত্র। শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরে চোরাচালানের সোনা নিজ উদ্যোগে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা অথবা কর্তৃপক্ষকে জানানো একটি বিরল ঘটনা। তবে এই সোনা কীভাবে এবং কোথা থেকে ঐ বেসরকারি বিমানে চড়ে ঢাকায় এসে নামলো সরকারি বয়ানে তার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। আরো দেখুন: ওসামা বিন লাদেনের জীবনের শেষ কয়েক ঘণ্টা 'বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশ পুরোপুরি রুদ্ধ' বিয়ের আসরে ভুয়া বরযাত্রী: পাত্র কারাগারে | বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে তাদের সততার জন্য সম্মাননা প্রদান করেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | মোহাম্মদ মোরসি কায়রোতে আদালতকক্ষে একটি মামলার বিচার চলার সময় সংজ্ঞা হারানোর পর তিনি মারা যান বলে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন খবর দিয়েছে। সাতষট্টি বছর বয়স্ক মোহাম্মদ মোরসি তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল। মিশরের 'আরব বসন্ত' নামে খ্যাত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের এখন কি অবস্থা্? তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা এবং মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এক বছর পরই তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মি. মোরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দী আছেন। মোরসি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর তার সমর্থক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে মিশরের কর্তৃপক্ষ। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের নেতা হন আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, যিনি এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: প্রতিকার কী? জাদু দেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ জাদুকর প্রবাসীদের নিয়ে হঠাৎ কী হলো ঢাকার বিমানবন্দরে | মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি মারা গেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সেই বিজ্ঞাপনের একটি স্থিরচিত্র আর বাচ্চা মেয়েটি এ কাজ করে একটা ছোট্ট উদ্দেশ্য নিয়ে। যাতে এরপর সে তার আরেক মুসলিম বন্ধুকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিরাপদে মসজিদে নামাজের জন্য পৌঁছে দিতে পারে! বাচ্চাদের দঙ্গলের রংয়ের স্টক ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা তখন আর কোনও বেলুন ছুঁড়তে পারে না - আর মুসলিম বাচ্চা ছেলেটিও তার ধবধবে সাদা কুর্তা পাজামায় কোনও রঙের দাগ না-লাগিয়েই পৌঁছে যায় মসজিদের দোরগোড়ায়। তবে না, ভারতে এটা সত্যি সত্যি কোথাও ঘটেনি। এ দেশে রঙের উৎসব হোলির ঠিক আগে জনপ্রিয় ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেল যে 'রং লায়ে সঙ্গ' নামে বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেন শুরু করেছে, এটা তারই একটা গল্প। অ্যাক্টিভিস্ট কবিতা কৃষ্ণনের টুইট তবে এই আপাত-নিরীহ, সম্প্রীতির সুন্দর বিজ্ঞাপনী গল্প নিয়েও ভারতে ভীষণ তিক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দু-চারদিন আগে সার্ফ এক্সেল এই বিজ্ঞাপনের ভিডিওটি প্রকাশ করার পর থেকেই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন, এর মাধ্যমে না কি কথিত 'লাভ জিহাদ' বা হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের প্রেমে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনে যে গল্প বলা হয়েছে, তার একটি বিকল্প ন্যারেটিভ তুলে ধরতে অনেকে আবার হিন্দু পুরুষদের সঙ্গে হিজাব-পরিহিত মুসলিম মহিলাদের হোলি খেলার ছবি পোস্ট করতে শুরু করে দেন। এতেই শেষ নয়, সার্ফ এক্সেল-সহ তাদের নির্মাতা সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের যাবতীয় প্রোডাক্ট বর্জন করারও ডাক দেওয়া হতে থাকে। সার্ফের বিজ্ঞাপনের মূল থিম ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গত শনিবার থেকেই ভারতে দারুণভাবে ট্রেন্ড করতে থাকে (হ্যাশট্যাগ) বয়কটসার্ফএক্সেল। পাশাপাশি আবার অনেকেই অবশ্য ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির দারুণ নজির হিসেবে এই বিজ্ঞাপনটির প্রশংসাও করতে থাকেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের সংখ্যা ছিল তুলনায় অনেক কম। বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ কবিতা কৃষ্ণন টুইট করেন, "সঙ্ঘ পরিবারের অনুগামী ঘৃণার কারবারিরাই লাভ জিহাদের চশমা দিয়ে এই বিজ্ঞাপনটিকে দেখছেন।" "ভালবাসার পাঠ দিয়ে এদেরকে একটা উপযুক্ত শিক্ষা দিন", দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুব রাঠী আবার কটাক্ষ করেন হিন্দুত্ববাদীদের একের পর এক পণ্য বর্জন করার ডাক দেওয়াকে। ধ্রুব রাঠীর টুইট তিনি লেখেন, "এভাবে চললে ভক্তদের তো খাবার জন্য গোবর আর পান করার জন্য গোমূত্র ছাড়া কিছুই আর বাকি থাকবে না!" সার্ফ এক্সেলের নির্মাতা হিন্দুস্থান ইউনিলিভার (বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভারের ভারতীয় শাখা) অবশ্য এই প্রথম ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়ছে না। দিনকয়েক আগেই তাদের 'রেড লেবেল' ব্র্যান্ড চায়ের একটি বিজ্ঞাপনে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত কুম্ভমেলার একটি গল্প বলা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, কুম্ভে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে ইচ্ছে করে হারিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছিল এক ছেলে। হিন্দুস্থান ইউনিলিভার ভারতের সবচেয়ে বড় কনজিউমার গুডস সংস্থা পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই ছেলে আবার নিজের বাবাকে খুঁজে বের করে, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আবার মিলন হয় বাবা ও ছেলের। সেই বিজ্ঞাপনের শেষে একটি বার্তাও ছিল, যাতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় জমায়েতে কেউ যেন নিজেদের বয়স্ক পরিজনদের ফেলে না চলে যান। এই বার্তাটিকেও অনেকেই 'হিন্দু-বিরোধী' বলে রায় দিয়েছেন, বলছেন এটি কুম্ভমেলার চেতনাকে ভুলভাবে উপস্থাপিত করছে। ফলে সার্ফ এক্সেলেরই বিজ্ঞাপন হোক বা রেড লেবেল চায়ের, দেখা যাচ্ছে সম্প্রীতি বা ভালবাসার বার্তা দিতে গিয়ে ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের তীব্র রোষের মুখে পড়েছে হিন্দুস্থান ইউনিলিভার! | হোলি-র সময় বাইসাইকেলে চেপে একটি বাচ্চা মেয়ে তাদের মহল্লায় সব বন্ধুবান্ধবকে তার দিকে রং ছুঁড়তে বলে - যাতে একটা সময় তাদের রংয়ের বেলুন সব ফুরিয়ে যায়। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বাণিজ্যিক জাহাজে ব্রিটিশ পতাকা কিন্তু এটা অস্বাভাবিক নয়। বরং অনেক সময়েই দেখা যায় যে, জাহাজটি এমন একটি দেশের পতাকা নিয়ে চলাচল করছে, যার মালিক একেবারেই ভিন্ন দেশের লোক। কিন্তু কেন এটা করা হয়? তাতে কি সুবিধা? কেন লাইবেরিয়া, পানামা আর মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ বেশি দেখা যায়? সাগরে চলাচলকারী প্রতিটি বাণিজ্যিক জাহাজকে কোন না কোন দেশে নিবন্ধন করতে হয় এবং সেই দেশের পতাকা ওই জাহাজটি বহন করবে। দেশটিকে বলা হয় ফ্ল্যাগড স্টেট। ওপেন রেজিস্ট্রি পদ্ধতিতে, যাকে অনেক সময় 'সুবিধা অনুযায়ী পতাকা' বলেও বর্ণনা করা হয়, জাহাজ যেকোনো দেশে তালিকাভুক্ত হতে পারে, জাহাজের মালিক অন্য দেশের হলেও তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে অন্য পদ্ধতিগুলোয় পতাকার বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে যে, এসব জাহাজের মালিক কে হতে পারবে এবং কিভাবে জাহাজ পরিচালনা করা হবে। যে দেশে নিবন্ধন করা হয়, সে দেশের আইনকানুন জাহাজটিকে মেনে চলতে হয়। পানামা, মার্শাল আইল্যান্ড আর লাইবেরিয়া হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্ল্যাগ স্টেট বা পছন্দের পতাকার দেশ। আরো পড়ুন: ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করলো ইরান হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ স্টেনা ইমপেরো যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক জাহাজের তালিকায় প্রায় তেরশো জাহাজ তালিকাভুক্ত রয়েছে। এই লাল পতাকার ব্যানারের দলে যুক্তরাজ্য, ক্রাউন ডিপেন্ডেনসিস (আইল অফ ম্যান, গার্নসে, এবং জার্সি) এবং যুক্তরাজ্যের ওভারসিজ টেরিটরি (অ্যানগুলিয়া,বারমুডা, দ্যা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, দ্যা কেইম্যান আইল্যান্ড, দ্যা ফকল্যান্ড আইল্যান্ড, জিব্রাল্টার, মন্টসেরাত, সেন্ট হেলেনা এবং দ্যা টার্ক ও কাইকোস আইল্যান্ড) মিলে বিশ্বের নবম বৃহত্তম জাহাজ বহরে পরিণত হয়েছে। নিজে দেশ ছেড়ে কেন অন্য দেশের পতাকা? অনেকগুলো বাণিজ্যিক কারণ বিবেচনায় রেখে জাহাজ মালিকরা নিবন্ধন করার দেশটিকে বাছাই করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে সেখানকার আইনকানুন, করের হার, সেবার মান- বলছেন ম্যারিটাইম নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আয়োনিস চাপসোস। তিনি বলছেন, গ্রীস হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ মালিকের দেশ। কিন্তু সেখানকার বেশিরভাগ জাহাজই গ্রীসের পতাকা বহন করে না। এর একটি বড় কারণ, সেখানে এজন্য অনেক বেশি অংকের ট্যাক্স দিতে হয়। বরং 'ফ্ল্যাগ স্টেট, অনেক সময় দেখা যায় যেগুলো একটু গরীব দেশ, তারা জাহাজ নিবন্ধন করে অর্থ আয় করার সুযোগ পায়। যেমন জাহাজ নিবন্ধন খাত থেকে পানামার অর্থনীতিতে প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার যোগ হয়। এখানকার নিবন্ধন পদ্ধতির কারণে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে জাহাজের কর্মীদের নিয়োগ দেয়া যায়, যা কোম্পানির খরচও অনেক কমিয়ে আনে। এই 'সুবিধা অনুযায়ী পতাকা' পদ্ধতির অনেক সমালোচনা রয়েছে, বিশেষ করে এর দুর্বল নিয়মাবলী আর তদারকির অভাব, যা এমনকি অনেক সময় আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের নিয়মের বিরুদ্ধে চলে যায়। যদিও গত তিন দশক ধরে জাহাজ চলাচলের রীতিনীতির বিশেষ উন্নতি ঘটতে দেখা গেছে। তবে এখনো এই ব্যবস্থার অনেক সমালোচনা করা হয়। ভিন্ন দেশের পতাকাবাহী হওয়ার কারণে অনেক সময় মজুরি বৈষম্য বা খারাপ কাজের পরিবেশর জন্য মালিকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে, বলছে আন্তর্জাতিক ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ফেডারেশন। ব্রিটিশ ইরানিয়ান নাগরিক নাজনিন যাগারি-র্যাটক্লিফকে ইরান আটক করে রাখায় ইরানের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত হয়ে উঠেছে। ছবিতে মেয়ের সঙ্গে নাজনিন কার দায় বেশি? কোন দেশে নিবন্ধন করার পর পতাকা বহনের পাশাপাশি ওই জাহাজের ওপর ওই দেশের আইন কার্যকর হবে। পতাকাবাহী জাহাজের কোন অপরাধের জন্য দায়দায়িত্ব বহন করবে যে দেশে তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেই দেশটি। যার মানে হলো নিবন্ধন দেয়ার সময় প্রতিটা জাহাজকে জরিপ এবং যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে, বলছে আইএমও। যেসব দেশে জাহাজ তালিকাভুক্ত হয়, প্রতিটা দেশই আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। যেসব বিধিবিধানের মধ্যে রয়েছে জাহাজ কিভাবে তৈরি হবে, নকশা, সরঞ্জাম এবং কিভাবে জাহাজটি পরিচালিত হবে ইত্যাদি। জাতিসংঘের কনভেনশন ফর দি ল' অফ দি সী অনুযায়ী, সমুদ্রে চলাচলের সময় জাহাজে যেন সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে, সেটা নিশ্চিত করবে নিবন্ধন করা দেশটি, যাদের পতাকা ওই জাহাজে রয়েছে। পারস্য উপসাগরে একটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নরওয়ের মালিকানাধীন কিন্তু মার্শাল আইল্যান্ডে নিবন্ধনকৃত জাহাজ ফ্রন্ট অলটেয়ার নিবন্ধনের বিষয়গুলো কে দেখে? এটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় যে, কোন একটা দেশে জাহাজ নিবন্ধন এবং ওই দেশের পতাকা জাহাজটি বহন করলেও, এই নিবন্ধনের পুরো কাজটি হয়তো করা হচ্ছে আরেকটি দেশে। লাইবেরিয়ার উদাহরণ দেখা যাক, যেখানে জাহাজ নিবন্ধনের কাজটি করে একটি আমেরিকান কোম্পানি, যাদের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে। ভূমিবেষ্টিত মঙ্গোলিয়ার নিবন্ধন দপ্তর সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। কোমোরোসের নিবন্ধন হয় বুলগেরিয়া থেকে। ভানুয়াটুর জাহাজ নিবন্ধন অফিস রয়েছে নিউইয়র্কে। জাহাজ নিবন্ধনের এই অস্বাভাবিক পদ্ধতি অনেক সময় নিরাপত্তা ঝুঁকিরও তৈরি করে। নিবন্ধনকারী কোন দেশের পক্ষে তালিকাভুক্ত হওয়া সব জাহাজকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়, বলছেন মি. চাপসোস, যদিও ওই জাহাজটি হয়তো ওই দেশেরই একটি বর্ধিত অংশ। আর এটা সেসব দেশের জন্য আরো কঠিন যাদের হয়তো ছোট আকারের নৌবাহিনী রয়েছে, যেমন রয়্যাল নৌবাহিনী, কিন্তু বাণিজ্যিক জাহাজের বিশাল বহর রয়েছে। | গত সপ্তাহে মালবাহী জাহাজ স্টেনা ইমপেরো আটক করেছে ইরান, যেটি চলছিল ব্রিটিশ পতাকা নিয়ে। কিন্তু আসলে এই জাহাজটির মালিক একটি সুইডিশ কোম্পানি এবং পুরো জাহাজে কোন ব্রিটিশ নাগরিক ছিল না। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে বাংলাদেশেও যখন উদ্বেগ আতংক রয়েছে, তখন ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে তাঁকে মুক্তি দেয়া নিয়েও নানা আলোচনা চলছে। করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের পরিস্থিতি এবং এই মুক্তির মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতাদের অনেকে। তবে সরকার বলছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলেছেন, আন্দোলন বা বিএনপির কোনো কৃতিত্ব ছাড়াই সরকার সদয় হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে। তারা বলছেন, তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্যে সরকার এই সময়টাকে সুবিধাজনক বলে মনে করেছে। রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে যখন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনেকে অবাক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার কাছেও এটি আকস্মিক বিষয় ছিল। তবে গত কয়েকদিনের কিছু ঘটনার যোগসূত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন অনেকে। তিনদিন আগে খালেদা জিয়ার ভাই এবং বোনসহ পরিবারের তিনজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন। পরদিনই বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সংবাদ সম্মেলন করে এখন করোনাভাইরাসের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মিসেস জিয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় তাঁর মুক্তি চেয়েছিলেন। এর একদিন পরই সরকারের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং তাদের আইনজীবী ফোরামের অন্যতম নেতা মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি এবং ঝুঁকি নিয়ে তারা যে বক্তব্য তুলেছিলেন, অন্যান্য বিষয়ের সাথে সেই বক্তব্যও সরকার বিবেচনায় নিয়েছে বলে তারা মনে করেন। "করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারি হয়েছে এবং বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে উনার বয়স ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি তাঁকে মুক্তি দেয়ার পেছনে অন্যতম একটি কারণ হতে পারে বলে আমরা মনে করি।" খালেদা জিয়া জেলে থাকার দুই বছরেরও বেশি সময়ে তাঁর মুক্তির জন্য বিএনপি বড় কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আইনগত পথেও সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার ভাই শামীম ইসকান্দার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নির্বাহী আদেশে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছিলেন গত ১০ই মার্চ। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তাঁর বোন সেলিমা ইসলাম বলেছেন, তাদের আবেদনের পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তার মুক্তির বিষয়টি তরান্বিত করেছে বলে তারা মনে করেন। "আমরা খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আর ওঁর শরীরিক অবস্থা এতই খারাপ যে এখন বাসায় থেকেই চিকিৎসা চলবে।" তিনি আরও বলেছেন, "সরকার হয়তো মনে করেছে, বয়স্ক মহিলা এবং এই সময়ে তার হাসপাতালে থাকা ঠিক হবে না। কারণ হাসপাতালে এখন ভাইরাস সমস্যা হয়। যদি কোনো কিছু হয়, তখন দায়িত্ব তো ওনাদের নিতে হবে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।" দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছিলেন। আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির ব্যাপারে তার ভাইবোনরা সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। এখন শর্ত সাপেক্ষে সরকার সদয় হয়ে মুক্তি দেয়ায় বিএনপির জন্য এটি 'বড় দূর্বলতা' হিসাবে চিহ্নিত হবে এবং এটি সরকারকে রাজনৈতিক 'সুবিধা' দেবে।। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মিসেস জিয়ার পরিবারের তাগিদ এবং সরকারের সদয় হওয়ার বিষয়কেই তুলে ধরেছেন। "বেগম খালেদা জিয়ার ভাই একটা আবেদন দিয়েছিলেন। এরমধ্যে ইনসিডেন্টালি করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি বা করোনাভাইরাস বিবেচনা করে মতামত দেয়া হয় নাই। প্রথমত বয়স, দ্বিতীয়ত মানবিক কারণ এবং সরকার সদয় হয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সাজা ৬মাস স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে," বলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সর্ম্পকিত দু'টি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন। তার এই সাজা এখন ছয় মাস স্থগিত থাকবে। শেখ হাসিনা: 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা' করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব কেন ও কীভাবে বজায় রাখবেন? ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জেলখানায়, বহু দেশ বন্দী ছেড়ে দিচেছ করোনাভাইরাস: সংকট মোকাবেলায় চিকিৎসক-আইসিইউ কতোটা আছে বাংলাদেশে? | বাংলাদেশে সরকারের আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনের উহান শহর থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয় এদের সবাইকে আগামী ১০দিন সরকারি নজরদারিতে রাখা হবে, এবং আরেকবার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপরই তারা স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে পারবেন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর রোববার বিবিসিকে এ কথা জানিয়েছে। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে এই ৩১২ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। উহান ফেরতদের মধ্যে ১১ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় তাদের মধ্যে ৩০১ জনকে ঢাকার কাছে আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং বাকি ১১ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। গতকাল (শনিবার) রাতে তাদের সবার আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর শনিবার রাতেই বাড়ি ফেরেন প্রায় দুশো জন। বাকীরা রোববার সকালে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। সরকারি নজরদারিতে আরো ১০দিন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ৩১২ জনের কারো শরীরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন লক্ষ্মণ বা উপসর্গ দেখা যায়নি। "সে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে আমরা 'কন্ডিশনাল রিলিজ' দিয়েছি।" কেন ১০দিন তাদের নজরদারিতে রাখা হবে? এই প্রশ্নে ডা. ফ্লোরা বলেন, "কোয়ারেন্টিনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত আলাদা রাখা। কিন্তু ইতিমধ্যে আমরা কোন কোন পেপারে দেখেছি সেখানে ইনকিউবেশন পিরিয়ড ২৪ দিন পর্যন্ত রাখার কথা বলা হয়েছে। যে কারণে আমরা আরো ১০দিন তাদের নজরদারিতে রাখবো।" তিনি বলেন, এই ৩১২ জনের নাম-ঠিকানা সংরক্ষণ করা হয়েছে, আগামি দশ দিন তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ফলো-আপ করা হবে। "এই সময়টুকু তারা আমাদের নজরদারিতে থাকবেন। যে যে জেলায় অবস্থান করবেন সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও জেলায় সিভিল সার্জনের অফিস থেকে বিষয়টি মনিটর করা হবে। এছাড়া যাদের বাড়ি উপজেলা পর্যায়ে তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মনিটর করা হবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।" এছাড়া তাদেরকে কোয়ারেন্টিন পরবর্তী কিছু স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয় মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখলে সাথে সাথে আইইডিসিআরকে জানানো, জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ইত্যাদি। তবে, কোয়ারেন্টিনে ছিলেন এমন ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে আইইডিসিআর। এই সংস্থার আশংকা - পরিচয় প্রকাশ হলে এই মানুষেরা সামাজিকভাবে হেনস্থার শিকার হতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের উহানে আটকে পড়া ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে চীন বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য ৫০০ টেস্ট কিট দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, চীনকে বাংলাদেশ মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাঠাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। | করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে যে ৩১২ জনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে গত দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল, আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শনিবার রাত থেকে তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২১ রানে জেতার পর সাকিবের সঙ্গে বাংলাদেশ টিমের খেলোয়াড়রা লন্ডনের ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। টস হেরে গেলেও ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৭৮ ও সাকিব আল হাসান খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। জবাবে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি ৬২ রান করলেও অন্যরা সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় ৩০৯ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন সাকিব আল হাসান। মাত্র ২১ রানে হারলেও এ ম্যাচে শুরু থেকেই বেশকিছু জায়গায় বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিল ফেলুকাওয়োর ক্যাচ ধরার পর খুশি সাকিব আল হাসান টস হেরে ব্যাট করতে নামলেও, সৌম্য আর তামিম একটি ভালো সূচনা করেন। মাত্র ৭ ওভারে ৫০ আর উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান হয় ৫০ বলে। এরপর অবশ্য দ্রুতই ফেরত যান এ দুজন। তামিম ইকবাল করেন ২৯ বলে ১৬। তবে অন্য প্রান্তে দৃষ্টিনন্দন সব শটে ৩০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করেন সৌম্য সরকার। মূলত তাঁর ব্যাটিংটাই দলকে আত্মবিশ্বাস এনে দেয় বড় স্কোরের। সাকিব-মুশফিকের জুটি ৭৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। এ দুজন গড়ে তোলেন ১৪২ রানের বড় জুটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ফিফটি করেন মুশফিক। আর ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশত করেন সাকিব। এসময় দক্ষিণ আফ্রিকার কোন পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগেনি ফিল্ডিং ব্যর্থতায়। লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তা সাকিব-মুশফিক দুজনেরই সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু অল্প ব্যবধানে এ দুজন আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সে চাপ সামাল দেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মো: মিঠুন এবং মোসাদ্দেক সৈকত - দুজনেই যথাক্রমে ২১ ও ২৬ রান করে মাহমুদুল্লাহকে সমর্থন করেন। সে কারণেই শেষ ১০ ওভারে ৮৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। এতে করে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের ও এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর করতে সমর্থ হয় মাশরাফির দল। ব্যাট করছেন কোয়েন্টিন ডি কক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নেয়া ভালো ফর্মে থাকা কোয়েন্টিন ডি কক তাঁর সতীর্থ ব্যাটসম্যানের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। মার্করামের সাথে ডু প্লেসির জুটিটাও জমে উঠেছিল। মার্করাম যখন পঞ্চাশ এর পথে, সে সময় ৫ রান দূরে থাকতে তাকে বোল্ড করেন সাকিব। ভাঙেন ৫৩ রানের জুটি। ডু প্লেসিকেও যখন ভয়ংকর মনে হচ্ছিল, সেসময় ৬২ রানে তাকে ফেরত পাঠান মিরাজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। মুস্তাফিজ ৩টি, সাইফুদ্দিন ২টি ও সাকিব-মিরাজ নেন একটি করে উইকেট। দলীয় পারফরম্যান্সে পার্থক্য বাংলাদেশ এ ম্যাচে পুরো দল হিসেবে খেলেছে। কারো একক পারফরম্যান্সে উপর তারা নির্ভর করেনি। মুশফিক-সাকিবের ফিফটির সাথে, রিয়াদ ও সৌম্যর অবদান। বোলিংয়ে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন ৪ জন মিলে। এ দিকটাতেই পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে দুটি পরিবর্তন এনেও পুরো দল হিসেবে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ডু প্লেসি ফিফটি করলেও অন্যরা সেট হয়েও আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে পেহলাকায়ো, তাহির ও মরিস দুটো করে উইকেট পেলেও রান আটকাতে পারেননি। | আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাঘাইর মাছ যদিও গত কয়েক দশকে ১০০'র বেশি দেশি প্রজাতির মাছ বাজার থেকে 'প্রায় নেই' হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও'র ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই মূহুর্তে মিঠা পানির মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। সরকারি হিসাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে। তবে এর বড় অংশটি ইলিশ। ফিরে আসা মাছেরা সম্প্রতি প্রকাশিত 'দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২০' নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাদু পানির মাছের উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রায় বিলুপ্ত অবস্থা থেকে আবার বাঙালীর পাতে ফেরত এসেছে আইড় মাছ বছরে ৯ শতাংশ হারে বাড়ছে বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছের উৎপাদন। এ হারে প্রথম স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় ১২ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ছে মিঠা পানির মাছের। গবেষকেরা বলছেন, 'প্রায় বিলুপ্ত' অবস্থা থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছের ফিরে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে হাওড় এলাকা এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়। এর বাইরে গবেষণার মাধ্যমে ফেরানো হয়েছে কিছু প্রজাতির মাছ, যেগুলো এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বিবিসিকে বলেছেন, মোট ২৩টি প্রজাতির মাছ পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, এগুলো হচ্ছে--- ১. পাবদা ২. গুলশা ৩. টেংরা ৪. শিং ৫. মাগুর ৬. গুজি আইড় ৭. চিতল ৮. ফলি ৯. মহাশোল ১০. বৈরালী ১১. রাজপুঁটি ১২. মেনি ১৩. বালাচাটা ১৪. গুতুম ১৫. কুঁচিয়া ১৬. ভাগনা ১৭. খলিশা ১৮. বাটা ১৯. দেশি সরপুঁটি ২০. কালিবাউশ ২১. কই ২২. গজার ২৩. গনিয়া এর বাইরে প্রাকৃতিক উপায়েও মাছের উৎপাদন বেড়েছে, মূলত হাওড় অঞ্চল এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়। চিতল মাছ ওইসব এলাকায় রিটা, আইড়, বাগাইড়, নদীর পাঙ্গাস, শিলন, চিতল এবং দেশি সরপুঁটি মাছের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বলছে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিস। কিভাবে ঘটেছে এই প্রত্যাবর্তন মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই ২৩টি প্রজাতির মাছকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন আরো ৭টি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এই মূহুর্তে ৮০০ হ্যাচারিতে মাছের পোনা চাষ করা হয়, ২০০৮ সালে দেশে হ্যাচারির সংখ্যা ছিল ২৫ টির মত। "বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে হাওড়-বাঁওড়, খাল, বিল, পুকুরসহ জলাশয়ের সংখ্যা বহুলাংশে সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছিল মিঠা পানির মাছের বহু প্রজাতি। ফলে গবেষণার মাধ্যমে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়, যার ফল এখন বাজারে গেলে টের পাওয়া যায়।" শিলন মাছ তিনি জানিয়েছেন, একেকটি মাছের প্রজাতি নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পেতে অন্তত আড়াই থেকে তিন বছর সময় লেগেছে। মি. মাহমুদ বলছেন, পুনরায় ফিরিয়ে আনা মাছগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হওয়া মাছের মধ্যে পুকুর ও ডোবার মত বদ্ধ জলাশয়ে ৫৭ শতাংশ মাছ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়। প্রাকৃতিক প্রত্যাবর্তন বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার বিবিসিকে বলেছেন, দেশের হাওড় এবং উজানে প্রাকৃতিকভাবে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হাওড় এলাকায় জলাশয় ইজারা দেবার সরকারি পদ্ধতি বাতিল হবার কারণে এ অগ্রগতি হয়েছে। "ইজারা পদ্ধতি চালু থাকাকালে জলাশয়ের ব্যবহারকারীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু আচরণ যেমন মৌসুম শেষে জলাশয়টি পুরোপুরি সেচে ফেলা, রাসায়নিক ব্যবহার এসব কারণে মাছের প্রাকৃতিক আবাস ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হত।" দেশি সরপুঁটি তিনি জানিয়েছেন, এখন নতুন নিয়মে কোন নির্দিষ্ট কম্যুনিটি একটি জলাশয়ের দায়িত্ব পায়, সেখানে মাছের আবাস ও উৎপাদন স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের দেয়া নিয়মাবলী মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করা হয়। "এর ফলেই মাছের আবাসস্থল বা হ্যাবিটাট অটুট থাকছে, ফলে মাছের প্রজনন নির্বিঘ্নে হতে পারছে।" মি. মহালদার জানিয়েছেন এর বাইরে মাছের জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে অনেক এলাকায়, হাওড় এলাকায় পুনরায় খনন করে মাছের আবাসস্থল ফেরানো হয়েছে কোন কোন এলাকায়। "এছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বছরে কয়েকটি সময় যে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তার ফলে কেবল ইলিশই বাঁচে না। ওই একই আবাসস্থলে থাকা রিটা এবং আইড়ের মত মাছও সুরক্ষা পাচ্ছে। যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ডিম ছাড়ছে এবং বাচ্চা ফুটছে মানে প্রচুর জাটকা হচ্ছে, এই জাটকা আবার রিটা এবং আইড়ের প্রধান খাবার।" কিন্তু ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক হারে হচ্ছে বলে, রিটা এবং আইড় মাছের পেটে অনেক জাটকা চলে যাবার পরেও সব কটি মাছের উৎপাদন বাড়ছে। বিলুপ্ত-প্রায় অবস্থা থেকে ফেরা কি স্থিতিশীল? বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০। রিটা মাছ এর মধ্যে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০র বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন'এর এ সংক্রান্ত নিয়ম হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। যে কারণে বিলুপ্ত ঘোষণা না হলেও বহু দেশিয় মাছই এখন আর দেখা যায় না। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, বর্তমানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "এই মূহুর্তে বাজারে যেসব মাছ পাওয়া যায় তার ৫৬ শতাংশই চাষের মাছ। চাষের টেংরা মাছ চাহিদা আছে বাজারে ব্যাপক হারে চাষাবাদ হবার কারণে এসব মাছের দামও এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে, ফলে একদিকে দেশিয় উদ্যোক্তাদের যেমন কর্মসংস্থান হচেছ, তেমনি অর্থনীতির উন্নয়নও তো হচ্ছে।" এখন এই দেশিয় প্রজাতির মাছের প্রত্যাবর্তন টিকিয়ে রাখা এবং আরো নতুন নতুন প্রজাতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। আর সেজন্য গবেষণা আরো বাড়াতে হবে। | বাংলাদেশে গত এক দশকে 'প্রায় বিলুপ্তি'র মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক চাষ উভয়ভাবেই বাড়ছে মাছের উৎপাদন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারীরা নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যারা নির্যাতিত হয়ে ফিরে এসেছেন তারা সবাই চান, সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা হোক। কিন্তু বিদেশ যেতে ইচ্ছুক নারীরা বন্ধ করাটাকে সমাধান মনে করছেন না। তারা চাইছেন নিরাপদ অভিবাসন। ঢাকার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিদেশ যাবার আগে এক মাসের প্রশিক্ষণে আছেন এরকম অনেকে। আরবি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহার শিখছেন অনেকে। ক্লাসরুমে জিজ্ঞেস করলে দেখা যায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নারী যেতে চাইছেন সৌদি আরবে। এর মধ্যে কেউ কেউ আছেন - যারা আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এখন আবার যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাবিনা নামের একজন সৌদি আরবে চার বছর কাজ করে এসেছেন। বেতন এবং কাজের পরিবেশ ভাল পেয়েছিলেন বলেই আবার যাচ্ছেন। সৌদি আরবই তার পছন্দের দেশ। অন্যদিকে কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই দালালের মাধ্যমে সৌদি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরেছেন ময়না। তিনমাসের মাথায় আবার তিনি বিদেশ যেতে চাইছেন। তবে সৌদি আরবে যাবেন না কখনোই। তার দাবি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সৌদিতে যেন কোনও নারীকে পাঠানো না হয়। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক এসব নারীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায় বেশিরভাগই স্বল্প-শিক্ষিত ও হতদরিদ্র পরিবার থেকে আসা। অভাব-অনটনের সংসারে উন্নত ভবিষ্যতে স্বপ্ন নিয়ে তারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ যেতে চান। তাসলিমা ইসলাম নামের একজন বলছিলেন, "সমস্ত দেশ খোলা থাকুক, আমরা বাঁচতে চাই, খাবার চাই, পরনের কাপড় চাই, নিজের একটা অধিকার চাই।" তাসলিমারও সৌদি আরবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তিনি মনে করেন, সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাসকে আরো তৎপর হতে হবে। গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহার শিখছেন অনেকে। আরো পড়তে পারেন: সৌদি আরব থেকে শ্রমিক ফেরত, চিন্তিত দূতাবাস সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে 'বাঁচতে হলে লাফ দেয়া ছাড়া উপায় কি'? সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যারা আসেন তাদের একটা বড় অংশেরই সৌদি আরবে যাবার আগ্রহ। এর মধ্যে অনেকেই জানান তাদের আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা তাদের নিয়ে যাচ্ছেন, ভরসা দিচ্ছেন। সৌদি আরবে যেতে নারীদের কোনও টাকা লাগে না, পুরো খরচ বহন করে নিয়োগকারী। নির্যাতিত হয়ে ফেরত আসা সবাই নারী পাঠানোতে আপত্তি করলেও যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের একটা বড় অংশ আর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও চান, সৌদি আরবে নারী পাঠানোর প্রক্রিয়া চালু থাকুক। সৌদি যেতে ইচ্ছুক শিমু আক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত অত্যাচার নির্যাতনের খবর আসছে, তারপরেও কেন সৌদি যেতে চান তিনি? এর উত্তরে শিমু বলেন, "হ্যাঁ, আমরা শুনতেছি কিন্তু আমাদের স্বামীরা কি আমাদের অত্যাচার করে না? কেউ কি নিজের দেশ ছাইড়া, ছেলেমেয়ে রাইখা বিনা কারণে বিদেশ যায়? আমরা বন্ধ হোক এটাও চাই না, আবার ওইখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হই - এটাও চাই না।" বিদেশগামী মেয়েদের নিয়ে কাজ করছেন খালেদা সরকার। তিনি বলছিলেন, বাংলাদেশের স্বল্প শিক্ষিত হত-দরিদ্র পরিবার থেকেই মেয়েরা মূলত সৌদি যাচ্ছেন। তিনি বলেন, পরিবারে সম্পর্কের জটিলতা, আর্থিক সংকট এবং কর্মসংস্থানের অভাবেই নারীরা বিদেশে যাবার ঝুঁকি নিচ্ছে। "এটা কখনোই বন্ধ হবে না, বরং আমাদেরকে দেখতে হবে মানুষের অধিকার, মানবাধিকার এবং তাদের নিরাপত্তার জায়াগুলোকে আরো বলিষ্ঠ করতে হবে।" এদিকে বাংলাদেশ থেকে এপর্যন্ত সোয়া ৩ লাখ ৩২ হাজার ২০৪ জন নারী সৌদি আরবে গিয়েছেন। আমাদের স্বামীরা কি আমাদের অত্যাচার করে না? - শিমু আক্তারের প্রশ্ন। ব্র্যাক মাইগ্রেশনের তথ্যে চলতি বছরে এ সংখ্যা ৫৩ হাজার ৭শ ৬২ জন। এরমধ্যে কেউ কেউ ফিরে এসেছেন ভয়ংকর নির্যাতনের অভিজ্ঞতা নিয়ে। গত চার বছরে লাশ হয়ে ফিরেছেন ১৫৭ জন নারী। চলতি বছরের গত এগার মাসে সৌদি থেকে ৫৩ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীর মৃতদেহ এসেছে। এ অবস্থায় এখনো যারা যাচ্ছেন তাদের শেখানো হয় বিপদে পড়লে তারা কোথায় যাবে, কী করবে। শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ শাহেল আরা বলেন, "আমরা ওদেরকে দূতাবাসের ফোন নাম্বার, যোগাযোগ করার মত কিছু নম্বর এবং মেসেজ ওদের দেই। এমনভাবে ওদের শেখানো হয় যাতে বিদেশে গিয়ে ওরা বিপদগ্রস্ত না হয়। আমরা চাই না ওখানে গিয়ে তারা ক্রীতদাস হয়ে যাক।" নারী শ্রমিকদের নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বলছেন, নিরাপদ অভিবাসন নারীর অধিকার। তবে সৌদিতে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিষয়টি উদ্বেগজনক আর এক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, "তাদের সৌদি ভাষা যতোটুকু শেখানো হয় সেটা যথেষ্ট নয়। কারণ সেখানে কথ্য ভাষা ব্যবহৃত হয়। প্রশিক্ষণের মান আরো বৃদ্ধি করতে হবে। এক মাসের জায়গায় তিন মাস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আবাসিক করতে হবে। নারীকে শুধু আরবি ভাষা, হাঁড়িপাতিলের ব্যবহার না, তাকে সংকট মোকাবেলায় প্রশিক্ষিত করতে হবে। এছাড়া দুদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। কেউ যদি ভায়োলেশন করে তাহলে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।" বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে সৌদি শ্রমবাজারে নারী-কর্মী বন্ধের পক্ষে যেমন অনেকে আছে, আবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে নারীদের পাঠানোর পক্ষেও মতামত দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদিতে থাকা বাংলাদেশিদের কথা হলো: নারী কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দূতাবাসকে আরো তৎপর হতে হবে, এব! মক্কা, মদিনা, রিয়াদ বা জেদ্দা শহরের বাইরে নারী শ্রমিক না পাঠানোই সবচেয়ে ভাল। ইলিয়াস কাঞ্চন বাস-ট্রাক শ্রমিকদের টার্গেট কেন? ইনজেকশন বিতর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত পেঁয়াজ আমদানির ফলে বিপদে পড়বে চাষীরা? আশ্বাসের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার মালিক-শ্রমিকদের | অত্যাচার নির্যাতনের মুখে সৌদি আরব থেকে হাজারো নারীর ফিরে আসার কাহিনী এমনকি মৃত্যুর খবর জানার পরেও বাংলাদেশের বহু নারীর গন্তব্য এখনো সৌদি শ্রমবাজার। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো এভাবে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এজন্যে তারা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসব এমপির বেশিরভাগই মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার। ঠিক এক বছর আগে রাখাইনে বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছিল যার জেরে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: অং সান সূ চির অভিযোগে 'হতাশ' বাংলাদেশ রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্ত নিয়ে ঢাকাকে আইসিসির চিঠি আন্তর্জাতিক আদালতকে দেওয়া পর্যবেক্ষণে যা বলা হল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে? জুলাই মাসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সরকাররা সাধারণত একে অপরের খুব একটা সমালোচনা করে না। কিন্তু এই অঞ্চলেরই রাজনীতিকদের কাছ থেকে এরকম কঠোর একটি বিবৃতি একেবারেই বিরল ঘটনা। ১৩২ জন এমপি তাদের বিবৃতিতে, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উপর যারা ''বর্বর নির্যাতন'' চালিয়েছে, তাদের বিচার না হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সনদে সই করে নি মিয়ানমার। আর একারণে দেশটির বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার নেই আইসিসির। এজন্যে এমপিরা মিয়ানমারকে আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে যেতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের কর্তৃত্ব খাটানোর জন্যে। তবে এবিষয়ে চীনের সম্মত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন কৌঁসুলি বলেছেন যে আইসিসির এই কাজটা করার এখতিয়ার রয়েছে এই কারণে যে রোহিঙ্গাদের উপর হামলার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ এই রোম সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। রাখাইনে কী ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেটা খুঁজে দেখতে গঠিত জাতিসংঘের একটি তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে আগামী সোমবার বহু প্রতীক্ষিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট যারা মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, তাদের যুক্তিকে আরো জোরালো করবে। | রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৩২ জন সংসদ সদস্য। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ডঃ কামাল হোসেন বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, " প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ডাকবেন সংলাপে, একটু তো ইঙ্গিত থাকবে কী কী বিষয় নিয়ে এই সংলাপ। যদি সেটা আমাদের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়, তখন আমরা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেব এব্যাপারে।" প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ এলে তাতে সাড়া দেবেন কীনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "নীতিগতভাবে আমি একে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করবো। কিন্তু সেটা জানতে হবে কী প্রেক্ষাপটে এটার আয়োজন করা হচ্ছে, কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।" উল্লেখ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, গতকাল দলের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই সংলাপের কথা বলেন। তিনি জানান, নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল তাদের সঙ্গে আবারও সংলাপ হবে। নির্বাচনের আগে ঐ সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট সহ আরও বহু দল। ঐ সংলাপের সময়েই বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করে। কেন সংলাপ নির্বাচনের আগে সংলাপে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পর কেন এরকম একটি সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? বিবিসির বাংলার মিজানুর রহমান খানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সরকারের একজন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী চান সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি কিন্তু ৭০টির বেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন নির্বাচনের আগে। তখন শুধু রাজনীতি নয়, দেশ গঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে তাদের ভুলে যাননি, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার আগ্রহ যে তাঁর আছে, সেই বিষয়টাই এখানে পরিস্ফুটিত হয়েছে।" কী কথা হতে পারে সংলাপে যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে যোগ দেন, সেখানে কী জানাবেন তাঁকে? এ প্রশ্নের উত্তরে ডঃ কামাল হোসেন বিবিসিকে বলেন, সেখানে অবশ্যই নির্বাচনের ব্যাপারে কথা হবে। তিনি বলেন, "সংলাপের প্রস্তাব আসলে প্রথমে আমরা জানতে চাইবো যে কী বিষয় নিয়ে হবে। তারপর আমাদের কমিটির বৈঠক হবে। ওখানে বসে আমরা আমরা আলোচনা করে সুচিন্তিত উত্তর দেব।" আরও পড়ুন: 'নিরাপত্তা হুমকি'র মুখে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন ড. কামাল কেন নির্বাচন করছেন না ড. কামাল হোসেন ড: কামাল হোসেন বলেন, সংলাপে যোগ দেয়া বা না দেয়ার সিদ্ধান্তটি তারা প্রথম নিজ দল গণফোরাম থেকেই নেবেন। বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের অবস্থার সঙ্গে এখনকার অবস্থার একটা পার্থক্য রয়েছে। কাজেই যে কোন প্রস্তাবের ব্যাপারে এখন নতুন করে চিন্তা করতে হবে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের চেয়ে এখন তিনি গণফোরামকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কীনা, এ প্রশ্নের জবাবে ডঃ কামাল হোসেন বলেন, "এটা তো সবসময় দিতে হয়। নিজের পার্টিকে গুরুত্ব দিয়ে তার পর তো ঐক্য ফ্রন্ট।" যদি বিএনপি এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন কী গণফোরাম সংলাপ যাবে? এর উত্তরে ডঃ কামাল হোসেন বলেন, এটা একদম স্পেকুলেট করা উচিৎ নয়। এটা যখন ঘটবে তখন আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।" | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপে বসার যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কী নিয়ে এই সংলাপ তা জানতে চান গণফোরামের নেতা ড: কামাল হোসেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ১৭ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির প্রথম লাল কার্ড স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালের অতিরিক্ত সময়েরও একেবারে শেষ মুহূর্তে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় পথ আটকে দেয়ার চেষ্টা করলে মেসি এক ধাক্কায় তাকে ফেলে দেন। প্রথমে রেফারির চোখ এড়িয়ে যায় ঘটনাটি, তিনি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দিয়ে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করে সাথে সাথে মেসিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এই লাল কার্ডের সিদ্ধান্তেরর পর মেসি বা তার সতীর্থদের তেমন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। টিভিতে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে তারা রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। লিওনেল মেসি এই ঘটনার কারণে ঘরোয়া ফুটবলে চার ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন। আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার একদল মেসি ভক্ত যে কারণে জরিমানা গুনলেন বার্সেলোনা ছাড়তে চান লিওনেল মেসি, কোন ক্লাবে যাবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসি ঝড় - আলোচনা, গুঞ্জন আর মজার সব খবর খেলায় যেভাবে উত্তেজনা তৈরি হয় স্পেনের এই কাপ ফাইনালের শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। বার্সেলোনার ফরাসী তারকা আন্তোনি গ্রিজমান দুটি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে রাখেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই বার্সেলোনা ক্লাবটির ইতিহাসের ১৪তম বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে যেত। হতে পারতো এটা বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের প্রথম শিরোপা। হতে পারতো এটা লিওনেল মেসির বার্সার হয়ে সম্ভাব্য বিদায়ী মৌসুমের শিরোপা। কিন্তু বিলবাওয়ের স্প্যানিশ ফুটবলার আজিয়ের ভিয়ালিব্রে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে খেলা টিকিয়ে রাখেন। ২-২ সমতায় অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হলে ৯৩ মিনিটেই ইনাকি উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিক বিলবাও। লিওনেল মেসি এই ঘটনার কারণে ঘরোয়া ফুটবলে চার ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন খেলোয়াড় হিসেবে এটা প্রথম নয় লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে এটা প্রথম লাল কার্ড হলেও আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে দুইবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। মজার তথ্য হচ্ছে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমে এক মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে একটি ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে একটি ম্যাচে লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখেন। ফুটবল দুনিয়ায় কেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে এতো মাতামাতি? | প্রায় ১৭ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ফিদেল ক্যাস্ত্রো বিচিত্র রকমের পরিকল্পনা করে ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। তার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক শামুক ঝিনুকের খোলসের ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা, সাঁতারের পোশাকে বিষ মাখানো, মুখে লাগানোর ক্রিমে বিষাক্ত বড়ি লুকিয়ে রাখা... ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্যাস্ত্রোরই সাবেক এক দেহরক্ষীর লেখা বই ও টিভি তথ্যচিত্র থেকে এসব পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নির্বাসিত কিউবানরা অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তাকে হত্যার এরকম পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু তার সবকটিকেই ব্যর্থ করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দশজন প্রেসিডেন্টের শাসনকাল পার করে বেঁচে ছিলেন তিনি। কিউবার বিপ্লবী এই নেতা একবার নিজেই মন্তব্য করেছিলেন: " আততায়ীদের হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার ওপর যদি অলিম্পিকে কোন প্রতিযোগিতা বা ইভেন্ট থাকতো, তাহলে আমি স্বর্ণ পদক পেতাম।" সাবেক এই প্রেমিকাকে পাঠানো হয়েছিলো ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তবে এসব পরিকল্পনার সবকটিই কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। বেশিরভাগই শুধু পরিকল্পনার মধ্যেই সীমিত ছিলো, বলেছেন সাবেক দেহরক্ষী ফাবিয়ান এসকেলান্তে। যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটন যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলো যাতে দেখা যায় যে সিআইএর কর্মকর্তারা ক্যাস্ত্রোকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক পর্যায়ে শামুক ঝিনুকের মতো ক্যারিবীয় সামুদ্রিক প্রাণীর খোলসের ওপরেও গবেষণা করতে শুরু করেছিলো। তাদের পরিকল্পনা ছিলো, বৈচিত্র্যময় এরকম কিছু খোলসের ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেওয়া। কারণ ফিদেল ক্যাস্ত্রো একজন ডুবুরী ছিলেন। ডুব দিয়ে তিনি যখন ঝিনুকের এই খোলসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এটি হাতে নেবেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে - এরকমই পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। এরকম আরো একটি পরিকল্পনা ছিলো- এমন একটি সাঁতারের পোশাক তৈরি করা যাতে ফাঙ্গাস মাখিয়ে দেওয়া হবে। সেই ফাঙ্গাসে সংক্রামিত হয়ে ক্যাস্ত্রোর শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতেই তার মৃত্যু ঘটবে। পরে অবশ্য এই দুটো পরিকল্পনাই বাদ দেওয়া হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রে সেনেট চার্চ কমিশন ১৯৭৫ সালে এরকম আটটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছিলো। তার অনেকগুলো কল্পনাকেও হার মানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুজনের জেল হয়েছিলো হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার দায়ে আরো একটি পরিকল্পনা ছিলো ফিদেল ক্যাস্ত্রোর হাতে একটি বিষাক্ত কলম তুলে দেওয়া। বলা হয় যে সিআইএর একজন অফিসার কিউবার একজন গোয়েন্দার কাছে সূচ বসানো এরকম একটি কলম প্রায় তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিউবান ওই গোয়েন্দা সেটি নিতে চাননি। কারণ তিনি এর চেয়েও সুন্দর একটি কলম চেয়েছিলেন। ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার জন্যে তার প্রাক্তন একজন প্রেমিকা মারিতা লোরেঞ্জকেও ভাড়া করা হয়েছিলো। তাকে দেওয়া হয়েছিলো বিষাক্ত বড়ি যা তিনি ক্যাস্ত্রোর পানীয়র গ্লাসে মিশিয়ে দেবেন বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। কিন্তু ফিদেল ক্যাস্ত্রো এই পরিকল্পনার কথা আগেই জেনে ফেলেন। এবং শোনা যায় সাবেক ওই প্রেমিকার হাতে তিনি তার অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন তাকে হত্যা করার জন্যে। মিস লোরেঞ্জ নিউ ইয়র্কের একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, "ক্যাস্ত্রো তখন আমাকে বলেন, তুমি আমাকে মারতে পারবে না। আমাকে কেউ মারতে পারবে না।" "তারপর একরকম হাসতে হাসতে মুখে চুরুট চিবুতে লাগলেন তিনি। তখন আমি দমে যাই। কারণ তিনি আমার ব্যাপারে খুবই নিশ্চিত ছিলেন। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর আমরা সেক্স করি।" ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যার সবশেষ যে পরিকল্পনার কথা জানা যায় সেটি ছিলো ২০০০ সালে। এই পরিকল্পনাটি ছিলো পানামায় ক্যাস্ত্রো যে মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা তার নিচে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রেখে দেওয়া। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নিরাপত্তা রক্ষীরা সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। ফিদেল ক্যাস্ত্রের দাড়িও ছিলো হত্যা পরিকল্পনাকারীদের একটি টার্গেট এই পরিকল্পনায় জড়িত থাকার দায়ে সিআইএর গুপ্তচরসহ চারজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো। পরে অবশ্য তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। শুধু হত্যা করা নয় তাকে অপদস্থ করারও কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। দাড়ির জন্যে বিখ্যাত ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। পরিকল্পনা ছিলো তার এই দাড়ি ফেলে দিয়ে তাকে হেয় করারও। এরকম একটি পরিকল্পনা ছিলো- বিদেশ সফরে গেলে তার জুতায় থালিয়াম লবণ ছিটিয়ে দেওয়া এই আশায় যে এর ফলে তার বিখ্যাত সেই দাড়ি মুখ থেকে খসে পড়বে। সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায় ক্যাস্ত্রো যখন তার সেই নির্ধারিত সফর বাতিল করে দেন। আরেকটি পরিকল্পনা ছিলো টেলিভিশনে বক্তব্য দিতে যাওয়ার আগে তার মুখের ওপর এলএসডি এরোসল স্প্রে করে দেওয়া যাতে তিনি পর্দার সামনে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে দেন। এসব পরিকল্পনা এড়াতে ক্যাস্ত্রো বহু সতর্কতা অবলম্বন করতেন। তবে ১৯৭৯ সালে যখন জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নিউ ইয়র্কে উড়ে যান তখন বিমানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলো তিনি বুলেটপ্রুফ কোন জ্যাকেট পরে আছেন কীনা তিনি তখন তার শার্ট খুলে তার উন্মুক্ত বুক দেখিয়ে দেন। "আমার আছে নৈতিকতার এক বর্ম," বলেছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। | সিগার বা চুরুটের ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যার পরিকল্পনার কথা মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু তাকে হত্যা করার জন্যে বাকি ৬৩৭টি পরিকল্পনা কিভাবে করা হয়েছিলো? |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের সঙ্গে হলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন, অবশ্য যদি সেটা সঠিক সময়ে হয় সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে মি. ট্রাম্প বলছেন, ''তাঁর সঙ্গে (কিম জং-আন) দেখা করার ব্যাপারটি যদি আমার জন্য যৌক্তিক হয়, তাহলে অবশ্যই আমি দেখা করবো। এটা আমার জন্য সম্মানেরও হবে।'' আগের দিনই মি. কিমকে তিনি 'যথেষ্ট চালাক ব্যক্তি' বলে বর্ণনা করেছিলেন। আরো পড়তে পারেন: জাকারবার্গকে বাড়িতে পেয়ে মুগ্ধ আমেরিকান দম্পতি কীভাবে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন এরদোয়ান? কেমন যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী দিনগুলো? মি. ট্রাম্পের নতুন এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক পরীক্ষা কর্মসূচী নিয়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। তবে মি. ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সেখানে বলা হয়েছে, 'দুই নেতার মুখোমুখি কোন সাক্ষাৎ করতে হলে হলে, উত্তর কোরিয়াকে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে।' উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে। আর যেকোনো সময় পারমানবিক পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এখনো সে রকম পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে বলছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শেন স্পাইসার বলেছেন, বিশেষভাবে তারা দেখতে চান যে, অতিসত্বর উত্তর কোরিয়া তাদের উস্কানিমুলক আচরণ বন্ধ করেছে। রবিবার সিবিএস টেলিভিশনে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে কিম জং-আনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ''অনেকে বলে, তিনি কি একটি শয়তান? সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। তবে যখন তার বাবা মারা যায়, তখন তিনি ২৬/২৭ বছরের একজন তরুণ। অবশ্যই অনেক কঠিন মানুষজনের সাথে তার কাজ করতে হয়, বিশেষ করে জেনারেলদের সঙ্গে। যাদের অনেকেই হয়তো ক্ষমতায়ও ভাগ বসাতে চায়। যাদের মধ্যে হয়তো তার ফুপা বা অন্য কেউ থাকতে পারে। এসবের মধ্যেও তিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। সুতরাং, তিনি অবশ্যই বেশ চালাক একজন ব্যক্তি।'' মি. ট্রাম্প যখন এসব কথা বলছেন, কোরিয়া উপদ্বীপে তখন উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়া, উভয় দেশই সামরিক মহড়া শুরু করেছে। আর যেকোনো সময় পারমানবিক পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় তারা যে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, তা এখন পুরোপুরি কার্যক্ষম হয়েছে। | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের সঙ্গে দেখা হলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন, অবশ্য যদি সেটা সঠিক সময়ে হয়। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা নিশ্চিত না হয়ে মৃতের সংখ্যা বলছি না। এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে ১১ জন। এর বাইরে অন্য কেউ যদি অন্য কিছু বলে থাকে সেটা আমরা এখনো ভেরিফাই করতে পারি নাই।" রোহিঙ্গা শিবিরে ৯ হাজারের কিছু বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ থাকা সম্পর্কে মি. আহমেদ বলেন, এলাকাটি অনেক বড়। অনেক মানুষ স্বজনদের কাছ থেকে ছিটকে পড়েছেন। সেখানে নিখোঁজ অনেকে ছিল তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। "কেউ হয়তো তার ভাইকে পাচ্ছে না, সকাল বেলা পায় নাই, ১১টার দিকে হয়তো খুঁজে পেয়েছে। নিখোঁজদের বিষয়টা ওইভাবে বলা যাচ্ছে না।" ঘর হারা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে ওই শিবিরেই তাঁবুতে কিংবা অস্থায়ী শেল্টার তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, তারা এখনো পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন শরণার্থীর মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, আগুন লাগার পর এখনো চার শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ক গ্রুপ ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেটর গ্রুপ-আইএসসিজি বলছে, আগুনে ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর পুড়ে গেছে। ঘরহারা হয়েছে ৪৫ হাজারের মতো মানুষ। তবে এই সংখ্যা আগুন লাগার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রথম ২৪ ঘণ্টার একটি চিত্র বলে জানায় গ্রুপটি। ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানতে এখনো কাজ চলছে বলে জানানো হয়। ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়তে পারে বলেও জানায় গ্রুপটি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুড়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের দিকর ফিরে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতার মূলে ইয়াবার টাকার ভাগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা রোহিঙ্গা শিবিরে অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপ থেকে অক্ষত গার্হস্থ্য উপকরণ খুঁজে ফিরছেন এক রোহিঙ্গা নারী। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল জানান, আগুনের কারণে রোহিঙ্গাদের ঘর ছাড়াও স্থানীয়দের কিছু ঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া শিবিরে থাকা দুটি হাসপাতালও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। মি. ইকবাল বলেন, যারা নিজেদের ঘর হারিয়েছে তাদেরকে শিবিরেই অস্থায়ী তাবু টাঙিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে রেড ক্রিসেন্ট-সহ কিছু বেসরকারি সংস্থা। খাবার এবং পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। যারা ঘর হারিয়েছে তাদেরকে আপাতত অস্থায়ী তাবুতেই রাখা হবে বলে জানান তিনি। তবে মানুষ নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই বলেও জানিয়েছেন মি. ইকবাল। তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত সোমবার বিকেলে হওয়ার কারণে মানুষ আসলে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। একারণে নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা কম বলে মনে করেন তিনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড নয় মাস পরে সাড়ে তিন হাজার ছাড়াল করোনাভাইরাস শনাক্ত ব্রিটেনের 'তৃতীয় বাংলায়' ১৯৭১ এ 'প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধ' সৈয়দপুর-বিরাটনগর বিমান রুট হলে বাংলাদেশ ও নেপালের যে সুবিধা পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ঘর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে অনেকে কী ঘটেছিল? গতকাল বিকেল চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে এ আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর। শুরুতে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা না কমে বরং ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। খবর পেয়ে দমকলসহ নানা সংস্থার লোকজন ছুটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রাত একটা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বলা হয়। | কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | যে ১৬ জনকে শনিবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের একজন আহমেদ বিলাল, বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি 'ইনফ্লেটেবেল' নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশী। ত্রিপলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বিবিসিকে বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের যোগাযোগ চলছে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, লড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে তাদের আকাশপথে যেতে হবে। তিউনিসিয়ায় জারযিজে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে সাগর থেকে উদ্ধারকৃত কয়েকজন। অধিকাংশই বাংলাদেশী বেঁচে ফেরা অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে ৫১জন বাংলাদেশী ছাড়াও তিনজন মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল। এ বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৬৪ জন মারা গেছে বলে জাতিসংঘ বলছে। | তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশী নাগরিক। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এবার সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকলেও মুস্তাফিজ পেয়েছেন নতুন দল আইপিএলের ১৪তম আসরের নিলাম বসে চেন্নাইয়ে। সেখানে অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সেটেই নিলামে ওঠেন সাকিব। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। আগে থেকেই তাকে ঘিরে বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজের আগ্রহ ছিল বলে খবর বেরোয় ভারতীয় গণমাধ্যমে। শুরুতেই নিলামে বিড করে তার পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর আগ্রহ দেখায় প্রীতি জিনতার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে সাকিবকে কিনে নেয় শাহরুখ খানের দল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সাকিব: ‘এটা সবচেয়ে বড় গিফট আল্লাহর তরফ থেকে’ আইসিসির দশকের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেট দলে সাকিব আল হাসান সাকিব বনাম বিসিবি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা কে এই পরেশ পাল, যিনি সাকিবকে কলকাতায় পূজার উদ্বোধনে নিয়ে গিয়েছিলেন 'আগে আমার সঙ্গে দেখা করেন' - জুয়াড়িকে লেখেন সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দুই বার শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে সাকিবের অভিষেক হয় কলকাতার হয়ে। এরপর টানা ৭টি সিজন সেখানে খেলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এরপর কলকাতা তাকে ছেড়ে দিলে পরের দুই মৌসুম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলতে দেখা যায় সাকিব আল হাসানকে। এরপর আইসিসি নিষেধাজ্ঞার কারণে গত মৌসুমে আইপিএল খেলা হয়নি তার। এখন পর্যন্ত এই টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে ৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। ৭৪৬ রানের পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ৫৯টি। এই মূহূর্তে সাকিব আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ও টি-টোয়েন্টি র্যাকিংয়ের দুইয়ে অবস্থান করছেন। তবে সামনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ থাকায় আইপিএলের পুরো সিজনে নাও দেখা যেতে পারে ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। মুস্তাফিজ এবার খেলবেন রাজস্থান রয়েলসের হয়ে এদিকে ভিত্তিমূল্য বা সর্বনিম্ন দাম ১ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার আইপিএল খেলে আসরের ''সেরা উদীয়মান'' ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুস্তাফিজ। সেবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ১৭ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে তিনি রাখেন বড় ভূমিকা। অবশ্য পরের সিজনে মাত্র ১ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এরপর ২০১৮ সালে তাকে কিনে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি এই বাঁহাতি পেসার। এরপরের দুই আসরে আইপিএলে দেখা যায়নি তাকে। | ভারতীয় ক্রিকেট লিগ আইপিএলের নিলামে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিবকে তিন কোটি বিশ লাখ রুপিতে কোলকাতা নাইট রাইডার্স আর মুস্তাফিজকে এক কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক সুনামিতে ২২০ জন নিহত এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে ঐ ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী, যারা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন, বিবিসি'কে জানান তাদের অভিজ্ঞতা। বিবিসি নিউজ বাংলার অন্যান্য খবর: 'ভোটে লড়তে পারবেন জামায়াতের নেতারা' ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন সুনামি হয় কেন? 'পর্যবেক্ষণ এইভাবে কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি' যুক্তরাজ্যে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হল গ্রামীণ ফাউন্ডেশন সুনামি আঘাত করার সময় একটি মঞ্চে পারফর্ম করছিলো ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড 'সেভেনটিন' 'নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না' সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় একটি রিসোর্টের তাঁবুতে বিশাল আকারের ঢেউ আঘাত হানছে। ঐ তাঁবুতে এক অনুষ্ঠানে গান গাইছিল ইন্দোনেশিয়ার বেশ জনপ্রিয় একটি রক ব্যান্ড 'সেভেনটিন।' ঢেউয়ের আঘাতে মঞ্চ তছনছ হওয়ার ভিডিও চিত্রে দেখা যায় ব্যান্ডদলের কয়েকজন সদস্যর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি। হৃদয়বিদারক এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে গায়ক রিয়েফিয়ান ফাযারসিয়াহ জানান যে ব্যান্ডের বেসিস্ট এবং ম্যানেজার নিহত হয়েছেন এবং তিনজন সদস্য এবং ঐ গায়কের স্ত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ঐ ব্যান্ডের এক নবীন সদস্য জ্যাক তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন যে স্টেজের অংশবিশেষ আঁকড়ে ধরে স্রোতের হাত থেকে বেঁচেছেন তিনি। "শেষ কয়েকটি মুহূর্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো", বলে জ্যাক তাঁর পোস্টে লেখেন বলে জানায় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, ব্যান্ডটি তাঁদের একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "স্রোত ফিরে যাওয়ার সময় আমাদের দলে অনেক সদস্যই পানিতে ধরে থাকার মতো অবলম্বন খুঁজে পাননি।" দোকান মালিক রুডি হেরদিয়ানসিয়াহ ঢেউয়ের আঘাতে জ্ঞান হারিয়েছেন অন্তত তিনবার 'বেঞ্চ আঁকড়ে ধরে ছিলাম' বানতেন প্রদেশের সিনাঙ্কা উপজেলার একজন দোকান মালিক রুডি হেরদিয়ানসিয়াহ বলেন 'সমুদ্র থেকে প্রকট এক শব্দ আসার' আগ পর্যন্ত শনিবারে সমুদ্র শান্তই ছিল। পানির উঁচু দেয়াল সমুদ্রতীরে তাঁর দোকানে আঘাত করলে ঢেউয়ের টানে ভেসে যান তিনি। এসময় অন্তত তিনবার অজ্ঞান হয়ে যান বলে মনে করতে পারেন তিনি। "আল্লাহর কাছে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে বাঁচিয়েছেন", বলেন তিনি। সৈকতে রুডি'র দোকানের অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় মি. হেরদিয়ানসিয়াহ বলেন তিনি সুনামির সতর্কতা বার্তা শোনেননি; কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে একবার সুনামি প্রস্তুতি মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন। "ঐ মহড়ায় অংশ নেয়ার কারণে আমি সচেতন ছিলাম। আমি কোনো কিছু ধরার চেষ্টা করছিলাম যা আমার জীবন বাঁচাতে পারে। শেষপর্যন্ত একটি বেঞ্চ আঁকড়ে ধরে ছিলাম।" 'আমি ভেবেছিলাম মারা যাবো' ১৬ বছর বয়সী আযকি কুর্নিয়াওয়ান জানান কারিতা সৈকতের একটি জনপ্রিয় রিসোর্ট পাত্রা কমফোর্ট হোটেলে আরো ৩০ জন শিক্ষার্থীর সাথে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছিলেন তিনি। সেসময় হঠাৎ হোটেলের লবিতে থাকা লোকজন 'সমুদ্রের পানি বাড়ছে' বলে তীব্র চিৎকার শুরু করে। সংবাদ সংস্থা এপি'কে তিনি জানান, কী হচ্ছিল তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কারণ কোনো ভূমিকম্প অনুভব করেন নি তিনি। সুনামির পর বানতেন প্রদেশের কারিতা সৈকত দ্রুতবেগে দৌড়ে পার্কিং লটে পৌঁছান আযকি। উদ্দেশ্য ছিল নিজের মোটর বাইকটি নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে যাওয়া, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন সবকিছু ততক্ষণে পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। "হঠাৎ করে প্রায় এক মিটার উঁচু এক ঢেউ আঘাত করে আমাকে।" "সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে থাকা একটি বেড়ার দিকে ভেসে যাই আমি। আমি যখন ঐ বেড়া শক্ত করে ধরে রেখে স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তখন বারবার মনে হচ্ছিল যে হয়তো আজই আমার মৃত্যু হবে।" কারিতা সৈকতে বেশকিছু দালান ব্যঅপক ক্ষদিগ্রস্ত হয়েছে সুনামিতে 'জঙ্গলের দিকে দৌড়ায় সাধারণ মানুষ' আসেপ পেরাংকাট নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে জানায়, শহরের ওপর দিয়ে সমুদ্রের ঢেউ যাওয়ার সময় জাভা'র কারিতা দ্বীপে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। "গাড়িগুলোকে প্রায় ১০মিটার দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় ঢেউ; একই অবস্থা হয় বড় কন্টেইনারগুলোরও।" তিনি বলেন, "সমুদ্রের খুব কাছে অবস্থিত স্থাপনাগুলো তছনছ হয়ে গিয়েছে, গাছ এবং বৈদ্যুতিক খাম্বাগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। বাসিন্দাদের প্রায় সবাই জঙ্গলের দিকে দৌড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।" জাভা'র পানডেগলাং অঞ্চলের বাসিন্দা আলিফ মেট্রো টিভি'কে জানায় যে নিখোঁজ থাকা অনেক ব্যক্তির স্বজনরা এখনো তাঁদের আত্মীয়দের খুঁজছেন। 'ঢেউ ছিল দু'টি' আয়েস্টেইন লুন্ড অ্যান্ডারসন, নরওয়েজিয়ান ফটোগ্রাফার, পশ্চিম জাভা ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ছবি তোলার জন্য সৈকতেই ছিলাম আমি। সেদিন সন্ধ্যায় আগ্নেয়গিরি থেকে বেশ কয়েকদফা অগ্ন্যুৎপাত হলেও ঠিক সুনামির আগে দিয়ে আগ্নেয়গিরি ছিল একদম শান্ত। অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎই বিশাল এক ঢেউ আসতে দেখি এবং দৌড়াতে শুরু করি। প্রথম ঢেউটা অতটা শক্তিশালী ছিল না। আমি দৌড়ে হোটেলে চলে আসি আমার পরিবারের কাছে। হোটেল থেকে আমার স্ত্রী-পুত্রকে সাথে নিয়ে বের হই তখন দ্বিতীয় ঢেউটি আঘাত করে। এটি ছিল আরো অনেক ভয়াবহ আকারের। হোটেলের অন্যান্য মানুষের সাথে সাথে আমরাও দৌড়ে পাশের উঁচু জঙ্গলে আশ্রয় নেই। এখনও আমরা সেখানেই আছি। রাণী, আনইয়েরে সৈকতে যার একটি দোকান সুনামিতে ধ্বংস হয়ে গেছে 'সব ধ্বংস হয়ে গেছে' জাভা'র আনইয়েরে সমুদ্রসৈকতে একটি দোকান চালান রাণী; যেটি সুনামিতে তছনছ হয়ে গেছে। "সব শেষ হয়ে গেছে; আমাদের কাছে টাকাও নেই যে আমরা এগুলো নতুন করে বানাবো।" বছরের এই সময়টা পর্যটনের জন্য ভাল সময় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ঐ এলাকার মানুষের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস পর্যটনই। সংসদ নির্বাচন: তরুণ ভোটারদের আগ্রহ কতটা? | ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা প্রণালীর উপকূলবর্তী শহরগুলোতে শনিবার আঘাত হানা সুনামিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২২০ জনের বেশি, আহত হয়েছেন ৮৪৩ জন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | রেবেকা বার্কার বলছেন, দিনে পাঁচবার যৌন মিলনও তার জন্য যথেষ্ট ছিল না বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এমন দুইজন রোগী, যারা অনেকদিন এই সমস্যাটি মোকাবেলা করেছেন। তিন সন্তানের জননী রেবেকা বার্কার বলছেন, ''এটা ছিল অসহ্য একটি ব্যাপার যে, দিনে পাঁচবার যৌনমিলন করার পরেও তা আমার জন্য যথেষ্ট ছিল না।'' আরো পড়তে পারেন: ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক বাংলাদেশে গৃহকর্মী, মজদুরদের কে দেখবে? প্রতারণা করার বদলে তিনি তার সঙ্গীকে বারবার মিলিত হতে বলতেন। ''ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে এটার চিন্তাই আমার মাথায় প্রথমে আসতো। অনেক চেষ্টা করেও সেটা আমি মাথা থেকে সরাতে পারতাম না। বলছেন ৩৭ বছরের নর্থ ইয়র্কশায়ারের এই বাসিন্দা।'' মিজ বার্কার বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে এটার চিন্তাই আমার মাথায় প্রথমে আসতো ''সবকিছুর সঙ্গে যেন আমি এর মিল খুঁজে পেতাম। আমি মনে করি, এটা আমার বিষণ্ণতা আর সেরোটোনিনের অভাবের সঙ্গে জড়িত ছিল। আমার পুরো শরীর যেন এটা চাইতো।'' ''যৌনমিলন করার পর আমি খানিকটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেই আবার আমার চাহিদা তৈরি হতো।'' ''আমার ঘরের ভেতর থাকতেই ভালো লাগতো। কারণ সারাক্ষণ আমার মাথার মধ্যে এটাই ঘুরত বলে বাইরে মানুষজনের মধ্যে যেতেও লজ্জা লাগতো।'' মিজ বার্কারের এই সমস্যা তার সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। প্রথমে তার সঙ্গী বিষয়টি উপভোগ করলেও, পরে তা দুজনের মধ্যে জটিলতা তৈরি করে। প্রথম দিকে সে ভালোই ছিল, কিন্তু পরে আর বুঝতে চাইতো না। পরে সে আমার বিরুদ্ধে অন্য সম্পর্ক করার অভিযোগও আনে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তিনি কিছুদিনের জন্য তার মার কাছে আলাদা থাকতে যান। এরপরই তাদের সম্পর্কটি ভেঙ্গে যায়। সে সময় তিনি মানসিক চিকিৎসকের কাছেও যান। তিনি বারবার ওষুধ পাল্টে দিচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি কখনো বলেননি, এটার জন্য কোন সহায়তা করার গ্রুপ আছে। এরপর তিনি বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার জন্য চাকরি ও স্থান পরিবর্তন করেন। এখন তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন। বিষণ্ণতা আর যৌন আসক্তি, দুটো থেকেই তিনি কাটিয়ে উঠেছেন। রিলেট নামের দাতব্য সংস্থাটি বলছে, আর দশটা আসক্তির মতো যৌন আসক্তিও একটি রোগ। ২০১৯ সাল নাগাদ এটিকে একটি রোগ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক সময় এই রোগে আসক্ত ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গীদের প্রতারণা করেন এই রোগে আক্রান্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন ব্যক্তি বলছেন, তিনি এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে, এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে প্রতারণা করতে শুরু করেন। তিনি বলছেন, ''এটা ছিল ভয়াবহ, কষ্টকর অভিজ্ঞতা। যখন আপনার মাথায় সবসময়ে এটা কাজ করতে থাকে, তখন সেটা যৌন আনন্দ থাকে না, সেটা সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়। যা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। '' ''এটা অনেকটা মদ্যপায়ী হয়ে ওঠার মতো ব্যাপার ছিল। যখন আপনার নেশা উঠবে, তখন এটা করতে হবে। কিন্তু এরপরে চরম অপরাধ বোধ কাজ করে। আমি ভাবি, আর কখনোই এটা করবো না।'' যখন তার স্ত্রী একটি ইমেইল দেখে বিষয়টি ধরে ফেলেন, তারপরে তার এই দ্বিচারণ বন্ধ হয়। তিনি যুক্তরাজ্যের সেক্স এডিক্টস অ্যানোনিমাস বা এসএএ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন। তখন তিনি দেখতে পান, তার মতো আরো অনেকে এই রোগে ভুগছে। দি অ্যাসোসিয়েশন ফর দি ট্রিটমেন্ট অফ সেক্স অ্যাডিকশন এন্ড কমপালসিভিটি বলছে, যৌন আসক্তি এখন বাড়তে থাকা একটি সমস্যা। গত কয়েক বছরে রোগীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, এদের বেশিরভাগই পুরুষ। যাদের ৩১ শতাংশ মানুষের বয়স ২৬ থেকে ৩৫ বছর। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা পাওলা হল বলছেন, ''এই রোগীদের জন্য দরকার জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে বিনামূল্যের চিকিৎসা। কারণ এই রোগীরা ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে পারেন। এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের সহায়তা দরকার।'' ''তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা থাকা দরকার যে, তারা সরাসরি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এর জন্য চিকিৎসা চাইতে পারবেন। কারণ এটা তাদের ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, আর্থিক আর মানসিকভাবেও ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে।'' তবে এনএইচএস বলছেন, তাদের বিশেষজ্ঞরা এখনো একমত নন যে, কারো পক্ষে যৌন আসক্ত হয়ে ওঠা সম্ভব কিনা। এ ধরণের সমস্যায় সহায়তার জন্য তারা এসএএ অথবা এটিএসএসির কাছেই যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। আরো পড়ুন: আলিঙ্গনের জন্য প্রেমিক যুগলকে প্রহার নিয়ে হৈচৈ ইরানে পুরুষ সেজে ছদ্মবেশে ফুটবলের মাঠে মেয়েরা কাজে ফেরা নতুন মায়েদের জন্য দশটি পরামর্শ | যৌনতা আসক্তিকে একটি রোগ হিসাবে তালিকাভুক্তি এবং চিকিৎসার জন্য দাবি তুলেছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান রিলেট। যুক্তরাজ্যের জাতীয় চিকিৎসা সেবার মধ্যে সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | এলাহাবাদে গঙ্গাতীরে কোভিডে মৃতদের গণদাহ। ৫ মে, ২০২১ ধারণা করা হচ্ছে, নদীর উজানে গঙ্গাতীরের গ্রামবাসীরা কোভিডে মৃত পরিজনদের শেষ সৎকার না করতে পেরেই দেহগুলো নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। বিহারের বক্সারে জেলা প্রশাসন মাত্র দশ-বারোটি দেহ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ কেউ দেড়-দুশো মরদেহ ভেসে এসেছে বলেও দাবি করছেন। ভারতে কোভিডে মৃত্যুর সরকারি যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে, আসল মৃত্যুর ঘটনা যে তার চেয়ে অনেক বেশি - এটা তারই আর একটা প্রমাণ বলে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন। উত্তর ভারতের জীবনস্রোত যে গঙ্গা, তা উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে বিহারে প্রবেশ করে বক্সার জেলা দিয়ে। সেই বক্সারের চৌসা জনপদে গঙ্গার ঘাটে সোমবার অনেকগুলো গলিত লাশ ভেসে আসার পর গোটা এলাকায় সংক্রমণের ভয় ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ আবার মরদেহগুলো দেখতে নদীর ধারে জড়ো হন। স্থানীয় একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএনআই-কে বলছিলেন, "চৌসা শ্মশানঘাটের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছিল না। আমার ধারণা, দুশো কি তিনশো কোভিড সংক্রমিত লাশ নদীতে ভেসে এসেছিল।" "এরপরই চারিদিকে সবার মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রশাসন তো কিছুই করেনি, সিইও সাহেব এসে শুধু ওপর-ওপর সব দেখে চলে গেছেন।" "শুধু শ্মশানের ডোমদের বলে গেছেন তোমরা সব পরিষ্কার করো, রোজ পাঁচশো টাকা করে পাবে।" তবে ঠিক কত সংখ্যক লাশ ভেসে এসেছে, তা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরাও নানা রকম পরস্পরবিরোধী বিবরণ দিচ্ছেন। আরেকজন ব্যক্তি যেমন বলছিলেন, তিনি নিজেই তিরিশ-পঁয়তিরিশটা লাশ ঘাটে এসে ঠেকতে দেখেছেন। তার কথায়, "তাদের কাউকে হয়তো জলপ্রবাহ দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ সৎকার না-করেই দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ভয়ঙ্কর 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' এর আক্রমণে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোভিড রোগীরা কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীরা যেভাবে পুরো ভারতে কোভিড ছড়িয়ে দিল উত্তরপ্রদেশে গঙ্গাতীরে কোভিডে মৃত স্বজনের দাহ করাতে আসা দুজন আত্মীয়া "এছাড়া নদীতে আরও যে লাশগুলো ভাসছিল, সব মিলিয়ে প্রায় এক-দেড়শো লাশ ছিল বলেই আমার ধারণা। আর এর সবগুলোই যে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের লাশ ছিল, তা নিয়েও আমি নিশ্চিত", বলছিলেন চৌসার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তবে বিহারের রাজ্য প্রশাসন সরকারিভাবে এখনও স্বীকার করেনি মরদেহগুলো সব কোভিড রোগীদেরই ছিল। কিন্তু এগুলো যে সব পাশের রাজ্য থেকেই ভেসে এসেছে, সে কথা তারা জোর দিয়েই বলছেন। বিকেলের দিকে চৌসা শ্মশানঘাটে আসেন বক্সা সদরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে কে উপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এগুলো সবই কোভিড-জনিত মৃত্যু তা কিন্তু বলা যাবে না।" সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, "গঙ্গায় যে আপনারা দশ-বারোটা লাশ ভাসতে দেখছেন সেগুলো সবই কিন্তু অনেক দূর থেকে প্রবাহিত হয়ে এখানে এসেছে।" "এখন এটা অনুসন্ধানের বিষয় যে লাশগুলো বারাণসী না এলাহাবাদ কোথা থেকে আসছে ... তবে এগুলো যে পাঁচ-সাতদিন ধরে নদীতে ভাসছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই, কারণ লাশগুলো সবই ভীষণভাবে ফুলে গেছে।" কোভিডে মৃত্যুর পর বহু ক্ষেত্রে পরিবারও দেহ নিতে আসছে না, তাদের গণদাহর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বস্তুত গোটা উত্তরপ্রদেশেই শ্মশানঘাটে বা কবরস্তানে কোভিডে মৃতদের অন্ত্যেষ্টি করতে তাদের পরিজনরা যে হিমশিম খাচ্ছেন, বিবিসি বাংলাকে সে কথাই বলছিলেন ওই রাজ্যের সমাজকর্মী আফরিন ফাতিমা। মিস ফাতিমা এলাহাবাদের বাসিন্দা, তার বাড়ির কাছেই শহরের সবচেয়ে বড় কবরিস্তান কালা ডান্ডা। তাঁর অভিজ্ঞতা বলছে, "এখন প্রতিদিন কোভিড রোগীদের অন্তত পনেরো থেকে বিশটা মরদেহ সেখানে দাফন করার জন্য আনা হচ্ছে - জায়গা না-পেয়ে অনেককে ফিরেও যেতে হচ্ছে বা অন্যত্র জায়গা খুঁজতে হচ্ছে।" "এলাহাবাদের শ্মশানঘাটগুলোতেও হিন্দুদের মরদেহ নিয়ে একই ধরনের ছবি, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে মৃতদের পরিজনদের।" গ্রাম থেকে যারা আসছেন, চিতার কাঠ জোগাড় করতে না-পেরে কিংবা অন্ত্যেষ্টির চড়া খরচ না-দিতে পেরে তারা বাধ্য হয়ে মৃত স্বজনের দেহ গঙ্গায় ভসিয়ে দিচ্ছেন - রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে এমনও খবর আসছে। এরকমই কয়েকটি লাশ সম্ভবত শত শত মাইল ভেসে বক্সারের ঘাটে গিয়ে ঠেকেছে, কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর সরকারি হিসেব যার নাগালই পায়নি! বিবিসি বাংলায় আরো খবর: | ভারতে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের সীমানায় গঙ্গা নদী বেয়ে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের বেশ কয়েক ডজন পচা-গলা মরদেহ ভেসে আসার পর ওই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | 'ফন্টগেট' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নওয়াজ শরিফ আর তার মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হচ্ছেন। বিতর্কের কেন্দ্রে আছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রোগ্রামের একটি টাইপ ফন্ট 'ক্যালিব্রি'। এই ফন্টটি কবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল, তার ওপর নির্ভর করছে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগের ভবিষ্যৎ! এই 'ফন্টগেট' নিয়ে এখন পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-কৌতুক-বিতর্কের কোন শেষ নেই। গত বছর 'পানামা পেপার্স' ফাঁস হওয়ার পর জানা যায়, পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক, যার মধ্যে নওয়াজ শরিফও আছেন, কিছু অফশোর একাউন্টের সঙ্গে জড়িত। পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতিকরা অভিযোগ করছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে সেই অর্থে লন্ডনে দামী ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল। একদল তদন্তকারী এখন এই দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন। এই তদন্তে যে প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা হচ্ছে তা হলো, সেন্ট্রাল লন্ডনে দামী ফ্ল্যাটগুলো যে অফশোর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কেনা হয়েছে, সেই কোম্পানিগুলোর মালিক কে? পানামা পেপার্সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ এর মালিক। মারিয়াম নওয়াজই তাঁর পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারি হিসেবে দলের হাল ধরবেন বলে মনে করা হয়। ক্যলিব্রি ফন্ট দিয়ে টাইপ করা দলিলটি জাল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মারিয়াম নওয়াজ দাবি করছেন, তিনি এই কোম্পানির ট্রাস্টি মাত্র। এর স্বপক্ষে তিনি প্রমাণ হিসেবে যে দলিল পেশ করেছেন, সেটি সই করা হয়েছে ২০০৬ সালে। কিন্তু তদন্তকারীরা বলছেন, মাইক্রোসফটের যে ফন্ট ব্যবহার করে দলিলটি টাইপ করা হয়েছে, সেই ক্যালিব্রি ফন্টটি ২০০৬ সালে সাধারণের ব্যবহারের কোন সুযোই ছিল না। এটি উন্মুক্ত করা হয় ২০০৭ সালে। সুতরাং তদন্তকারীরা বলছেন, এই দলিলটি আসলে জাল। তারা মারিয়াম নওয়াজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনছেন। মারিয়াম নওয়াজ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তাই বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থেমে নেই। মারিয়াম নওয়াজকে বিদ্রুপ করে টুইটারে ছড়িয়ে দেয়ো হয়েছে এরকম অনেক ছবি টাইপোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ থমাস ফিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, যদিও ক্যালিব্রি ফন্টের বেটা ভার্সন ২০০৪ সাল থেকে পাওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু এটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের ডাউনলোডের ঘটনা হবে খুবই বিরল এক ঘটনা। ফন্টটি যিনি তির করেছেন, সেই লুকাস ডে গ্রুটও একই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে উইকিপিডিয়ায় এই ক্যালিব্রি ফন্টের ইতিহাস নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রহস্যময় সব ঘটনা। পাকিস্তানে এই দুর্নীতির মামলায় ক্যালিব্রি ফন্টের বিতর্ক শুরু হওয়ার পর দেখা গেল উইকিপিডিয়ায় ক্যালিব্রি ফন্টের ইতিহাস বার বার এডিট করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে উইকিপিডিয়ার কর্তৃপক্ষ ক্যালিব্রি ফন্টের পাতাটির সম্পাদনার সুযোগ আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। উইকিপিডিয়ায় ক্যালিব্রি ফন্টের ইতিহাস এক দিনেই সম্পাদনা করা হয়েছে বহুবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাইরা এবং মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু সামনের সপ্তাহে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারক মিলে তদন্তকারীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মামলার ব্যাপারে তাদের রায় দেবেন। | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এই সর্বশেষ কেলেংকারির নাম দেয়া হয়েছে 'ফন্টগেট'। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশের অর্ধেক ব্যাংক এখনও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে যে দেশের মোট ব্যাংকের ৫০ ভাগ সাইবার নিরাপত্তায় নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল (এনজিএফডব্লিউ) সফটওয়্যার পুরোপুরি স্থাপন করতে পারেনি। প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ৩৫ শতাংশ ব্যাংক আংশিক এবং ১৫ শতাংশ ব্যাংক এই ফায়ারওয়াল স্থাপনের অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এই ৫০ শতাংশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন। আরও পড়তে পারেন: আর্থিক খাতে সাইবার ক্রাইম ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন? বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার একের পর এক অভিযোগ আসছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার চুরির নেপথ্যে যে হ্যাকার নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল স্থাপন করা হয় তথ্যের গেইট-কিপার হিসেবে। নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল কি? এই ফায়ারওয়াল হল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের একটি মিলিত রূপ যা কোন একটি সিস্টেমকে রক্ষার জন্য একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকের যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, সেখানে এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় গেইট-কিপার হিসেবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় সাইবার-স্পেসের মাধ্যমে কম্পিউটার, সার্ভার এবং রাউটার ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে তথ্য আদান প্রদান হয়। ফায়ারওয়াল এর মূল উদ্দেশ্য হল এই তথ্য আদান প্রদানের সময় সেটি নিরাপদ কী না যাচাই বাছাই করা। একে এক কথায় বলা যেতে তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার ঢাল। এবং এই ফায়ারওয়াল আপ-টু-ডেট না থাকে তাহলে হ্যাকাররা চাইলেই সেই নিরাপত্তার বলয় ভেদ করতে পারবে। কেননা এখন হ্যাকারদের কাছে আধুনিক সব সরঞ্জাম রয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনের অধিকাংশ কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হয়। সাইবার হামলা ঠেকাতে করণীয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ব্যাংক এখন ডিজিটালাইড হয়ে গিয়েছে। এখন প্রতিটি ব্যাংক ইলেকট্রনিক্যালি কানেক্টেড এবং আর্থিক লেনদেনের অধিকাংশ কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ টাকাটা ভার্চুয়াল হয়ে গেছে, যার সবই থাকে ব্যাংকে। তাই এই ব্যাংকগুলো যদি নিরাপদ না হয় তাহলে ব্যাংকের ওপরে নির্ভর করে আর্থিক লেনদেনের যতো চ্যানেল আছে, যেমন: মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম কার্ড পেমেন্ট সবই ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাইবার হামলা হলে ওই ব্যাংক এবং তাদের সব গ্রাহক উভয়ই সর্বস্ব খুইয়ে ফেলতে পারেন বলে তিনি সতর্ক করেন। যার প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতেও পড়তে পারে। মিস্টার স্বপন বলেন, "এখন ঘরে বসেই একটা ব্যাংক থেকে আরেকটা ব্যাংকে মুহূর্তেই টাকা পাঠানো যায়। এখানে কার এবং রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের আওতায় বিশাল অংকের টাকাও পাঠানো সম্ভব।" খন ঘরে বসেই একটা ব্যাংক থেকে আরেকটা ব্যাংকে মুহূর্তেই টাকা পাঠানো যায় "এখন কেউ যদি ব্যাংকের ভোল্টে বা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাহলে চাইলেই এক মুহূর্তে তার সব সম্পদ লুট করে নিতে পারে।" একটি ব্যাংকিং সিস্টেমের সাইবার নিরাপত্তা যদি হুমকির মুখে থাকে তাহলে তার পরিণতি কতোটা ক্ষতিকর হতে পারে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা থেকেই আঁচ করা যায়। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী আরও কয়েকটি সাইবার দুর্ঘটনার পর আইটি নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। মিস্টার স্বপন জানান, "প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়, সেই মোতাবেক মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের আপডেট না করলে, যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।" তবে শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরণের আপগ্রেডেড প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষ জনবল থাকাও জরুরি। বিশ্বব্যাপী সাইবার দুর্ঘটনার পর আইটি নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। আর ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকর্তাকে প্রতিনিয়ত দক্ষ করে তুলতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপরও তিনি জোর দেন। সেইসঙ্গে প্রয়োজন সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক নিয়মিত তদারকির। নাহলে প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক সাইবার হামলার মুখে পড়তে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন। "শুধু যন্ত্র বসালেই কাজ হবেনা। সেই যন্ত্র চালানোর মতো দক্ষ জনবল দরকার। আবার সাইবার সিকিউরিটির বড় বিষয়ই হল মনিটরিং করা। উন্নত প্রযুক্তির আওতায় দক্ষ জনবল যতো বেশি মনিটর করবে ততোই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।" বলেন, জাকারিয়া স্বপন। প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়েছে হ্যাকাররাও। গ্রাহকদের সচেতনতা কতোটা জরুরি কোন ব্যাংকিং সিস্টেমে সাইবার হামলার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল, এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সচেতনতা কোন কাজে লাগেনা। মিস্টার স্বপনের জানান, "যদি হ্যাকার ওই ব্যাংকের ভোল্টে প্রবেশ করতে পারে তাহলে ওই ব্যাংকের সব গ্রাহকের তথ্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। হ্যাকার চাইলেই তার অ্যাকাউন্টের অর্থ পাচার করতে পারবে।" এক্ষেত্রে ওই গ্রাহক ব্যক্তিগতভাবে যতোই সতর্ক বা সচেতন থাকুক না কেন, তাতে কোন লাভ হবেনা। এবং গ্রাহকদের এ ক্ষেত্রে কোন নিয়ন্ত্রণও নেই। তবে ব্যাংকের নিরাপত্তাহীনতার কারণে যদি আপনার কোন টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়, তাহলে সেটা দ্রুত ব্যাংকে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানান তিনি। | বাংলাদেশের অর্ধেক ব্যাংক এখনও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকায় একে বড় ধরণের বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে বৈঠকে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এসব চুক্তি করতে চেয়েছিলো দেশটি। শেষ পর্যন্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সফরের সময় এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো দেশ দুটির মধ্যে। বৈদেশিক পাওনা পরিশোধে সংকট নিরসনে পাকিস্তানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে আর সে কারণেই দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছিলো। যে সব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি ওয়েল রিফাইনারি স্থান করা হবে আট বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে। এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে দু'পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সৌদি যুবরাজের জন্য অভাবী পাকিস্তানের লাল গালিচা সংস্কার নিয়ে মতভেদ কীভাবে নিরসন করবে জামায়াত? ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বলেছেন, "প্রথম ধাপের জন্য এটা বেশ বড় এবং নি:সন্দেহে এটা প্রতি মাসে ও প্রতি বছর বাড়বে। এটা দু'দেশের জন্যই উপকারি হবে"। পাকিস্তান নগদ অর্থের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো। নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ আছে মাত্র আট বিলিয়ন ডলারে। আর সে কারণে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এজন্য একদিকে বন্ধু দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইছেন, আবার দেশের অভ্যন্তরে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে তাদের কঠিন শর্তগুলোর মধ্যে ভর্তুকি কমিয়ে আনার বিষয়টিকে রেখেছে। সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাথে বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার সৌদি যুবরাজের সফর যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের এশিয়া সফরের প্রথম গন্তব্য হলো পাকিস্তান। তিনি মঙ্গলবার ভারত এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার চীন সফর করবেন। মূলত সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এশিয়া সফর করছেন যুবরাজ। গত অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগজি। এমন পটভূমিতে সৌদি যুবরাজের পাকিস্তান, ভারত ও চীন সফরকে সমমনা বা বন্ধু ভাবাপন্ন দেশগুলোর সমর্থন উদ্ধারের চেষ্টা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দীর্ঘদিনের এবং যুবরাজ এমন সময় এ সফর করছেন যখন ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়ছে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ। আরো পড়তে পারেন: জামাল খাসোগজি: কে এই সৌদি সাংবাদিক খাসোগজি হত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব | সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাথে বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিটিআরসি বলছে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে অসংখ্য টাওয়ার আছে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে যেগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে হবে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হলে সীমান্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবাও থাকবে না। রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা বিটিআরসি থেকে এ ব্যাপারে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বলা হয় ওই চিঠিতে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিবিসি বাংলাকে বলেন যে তাঁর মন্ত্রণালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। "সিদ্ধান্তটি সরকারের। সরকার বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। বিটিআরসি কি নির্দেশ পেয়েছে, কি বাস্তবায়ন করছে, সেটি বিটিআরসি বলতে পারে"। বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক অবশ্য এ চিঠি দেবার কথা বিবিসির কাছে নিশ্চিত করেছেন। "এটা একটা সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে উচ্চ পর্যায় থেকে। কিছুটা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে ইন্ডিয়াতে। সেটি বোধ হয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। তবে আমরা কিছু করিনি এখনো। প্রক্রিয়াধীন আছে - কি করতে পারি চিন্তা করছি"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতে থাকা 'অবৈধ বাংলাদেশীদের' ফেরানো হবে? ফিরে দেখা: যেভাবে হয়েছিল ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন থার্টি ফার্স্ট নাইট: ঢাকায় প্রকাশ্যে উৎসব নিষিদ্ধ এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের নাগরিক পঞ্জী নিয়ে যেন কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, কেউ যেন প্রোপাগান্ডা বা গুজব রটনা না করতে পারে, সেজন্য সরকার তৎপর আছে। কিন্তু এর সঙ্গে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের কি সম্পর্ক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "বর্ডার বিটিএস তো, এপাশের কথা ওপাশে যায়। হয়তো কিছু প্রোপাগান্ডা করার মতো খবর সরকারের কাছে আছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট আছে যে গুজব রটনা করতে পারে। বিটিআরসিকে বলেছে, কি করা যায়"। বিটিএস বা বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন ব্যবহার করেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। মিস্টার হক বলেন, তারা কিছু করেননি এখনো, তবে কি করা যায় ভাবছেন তারা। "কি সক্ষমতা আছে। কিভাবে করবো। করলে কি প্রভাব পড়বে, মানুষের ক্ষতি হবে কি-না। সেটা ভাবছি, ভেবে সিদ্ধান্ত নিবো।" বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গুজব যেন না হয়, কোনো অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সেজন্য কি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা। "মোবাইল বন্ধ হলে মানুষের কষ্ট হবে সেটিও আমরা ভাবছি। অনেক গ্রাহকের সমস্যা হবে। সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কিছু করলে সাময়িক ভাবে করা হবে। পুরো নেটওয়ার্কের কিছু হবে না। গুজবের সম্ভাবনা না হলে কিছু করবো না"। তিনি জানান যে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলে সীমান্ত এলাকায় যে বিপুল সংখ্যক টাওয়ার আছে, সেগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে হবে। "আমাদের টেকনিক্যাল টিম বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখছে"। | ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে চেয়ারম্যান করে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হলেও, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে আর কোন তথ্য কমিটির প্রধানকে জানানো হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই জাতীয় কমিটিতে যে সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে তার কিছুই কমিটির চেয়ারম্যানকে জানানো হয়না। কবে কারখানা খোলা হবে, কিংবা খোলা রাখা হবে কিনা, মসজিদে নামাজ কিভাবে হবে, কখন রাস্তা খুলে দেয়া হবে বা বন্ধ রাখা হবে কিনা এসব বিষয়ে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয় না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। সম্প্রতি সারাদেশে কার্যত লকডাউনের মাঝে গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? এর আগেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। গত ৩১শে মার্চ কার্যত লকডাউনের সময়সীমা চৌঠা এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৯ই এপ্রিল ঘোষণা করা হলেও এসময় যে সব ধরনের গণপরিবহনের চলাচলও বন্ধ থাকবে সেই সিদ্ধান্ত এসেছে চৌঠা এপ্রিলে। এই সিদ্ধান্তটি জাতীয় কমিটি থেকে আসেনি। পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন। এছাড়া, এই বর্ধিত ছুটি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তটি এসেছে দেরিতে। সারাদেশে যখন গণপরিবহন বন্ধ তখন হাজারও শ্রমিক চাকরি বাঁচানোর জন্য ঢাকামুখী হয়েছেন। এ বিষয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানান তৈরি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি রুবানা হক। শনিবার অর্থাৎ চৌঠা এপ্রিল রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এই অনুরোধ জানান। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো 'গুজব' ছড়াচ্ছে কি না, তার তদারকি করতে আদেশ জারি করেছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সমালোচনার মুখে তা বাতিল করা হয়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা যায়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর 'লকডাউন' করার সিদ্ধান্ত নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠিও দিলেও পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক জানান তারা সেই চিঠি গ্রহণ করেননি। বাংলাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এ ধরণের অনুরোধ, আদেশ বা সিদ্ধান্ত এলেও সেগুলো এসেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের থেকে। এসব নিয়ে বিভ্রান্তিও কম হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। শুধু দেশের সাংবাদিক না, বিদেশ থেকেও অনেক সাংবাদিকরা আমাকে ফোন করে। ফোনে ইন্টারভিউ নেয়, টেলিভিশনে যুক্ত করে। আমি তাদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারি না।" "অনেক সময় সাংবাদিকরা আমাকে দোষও দেয় যে আপনি যদি কমিটির প্রধান হয়ে থাকেন, আপনি এই সিদ্ধান্তগুলো জানেন না কেন।" বলেন মন্ত্রী। এসব বিষয়ে জাতীয় কমিটির থেকে সিদ্ধান্ত না নিলেও তাদের পরামর্শ বা মতামত নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, "অন্তত আমাদের থেকে সিদ্ধান্ত না নিলেও অন্তত পরামর্শ তো করতে পারে। আমরা তাহলে আমাদের মতামতটা দিতে পারি।" করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত পহেলা মার্চ এই জাতীয় কমিটি গঠন করে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের জাতীয় কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব; স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউনিসেফ এবং ইউএস এআইডির প্রতিনিধিও এই জাতীয় কমিটিতে রয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে জাতীয় কমিটির পর বিভাগীয় পর্যায়ে এমনকি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব কমিটি ভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে থাকে। | করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানেন না এসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি নিজেই এনিয়ে অভিযোগ করেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | পুলিশের প্রায় সাড়ে সাতশো সদস্যের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬শে মার্চ বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, আর এই ছুটির মধ্যে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় অবস্থান নেয় পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা। সাধারণ ছুটির মধ্যে মানুষজন যেন অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা না করে, কোথাও জমায়েত তৈরি না করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় চেকপোস্ট পরিচালনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়া এবং জনসচেতনতা তৈরির কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু প্রথমদিকে পুলিশ যতটা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছিল, গত কয়েক সপ্তাহে সেই উদ্দীপনায় ভাটা পড়েছে বলে মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ। মানুষ বলছে পুলিশের মধ্যে এক ধরনের গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে এবং তাদের নজরদারির কার্যক্রমও যথেষ্ট শিথিল হয়ে পড়েছে। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া বা রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি থামাতে পুলিশ টহল দেয়া বা চেকপোস্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে যতটা কঠোর ছিল, বর্তমানে সেটিতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে মনে করছে মানুষ। আর পুলিশের তৎপরতা কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণেই গত কয়েকদিনে মানুষের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। কয়েকজন বলছেন শুরুর দিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কড়া অবস্থানের কারণে তারা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে সাহস পেতেন না, কিন্তু এখন পুলিশের নজরদারি শিথিল হয়ে যাওয়ায় তারা মাঝেমধ্যে বিনা প্রয়োজনেও ঘর থেক বের হচ্ছেন। তবে কেউ কেউ আবার মনে করছেন পুলিশের অনুপস্থিতি নয়, গত সপ্তাহে বেশকিছু কল কারখানা খুলে দেয়ায় এবং রমজান মাসে ইফতারের সময় কিছু খাবারের দোকানকে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়ার ফলে মানুষের আচরণে শিথিলতা এসেছে। আর একদল মনে করেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ার কারণে তারা শুরুর দিকে যেরকম সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন, বর্তমানে ততটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন না। বাংলাদেশ পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় ২রা মে পর্যন্ত পুলিশের প্রায় সাড়ে সাতশো সদস্যের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ জন। এছাড়া কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আরো প্রায় দেড় হাজার সদস্য। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই পুলিশ নিজেদের সুরক্ষার চেয়ে জনগণের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে পুলিশের এত বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কীভাবে এত পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন? বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা মন্তব্য করেন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই পুলিশ নিজেদের সুরক্ষার চেয়ে জনগণের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে পুলিশের এত বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। সোহেল রানা বলেন, "পুলিশের ডিউটির ধরণটাই এরকম যে মানুষের সংস্পর্শে না এসে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না।" সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিজেদের তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ ঝুঁকির মুখে পড়তে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সোহেল রানা। "পুলিশ যখন কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন বাস্তবায়ন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে, অনেক জায়গায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরুরি ত্রাণ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণ অভিযানে গিয়েছে - তখন মানুষের সংস্পর্শে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা।" করোনাভাইরাস: বিশ্বে মৃত ও আক্রান্ত কোথায় কত? কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? দেশের কোথাও কোথাও সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে পরিত্যাগ করা এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, "কিছু জায়গায় করোনাভাইরাস রোগীকে পরিত্যাগ করার ঘটনা ঘটেছে, আবার কোথাও দেখা গেছে যে রোগী নিজেই পালিয়েছে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যে মরদেহ সৎকারে কেউে এগিয়ে আসেনি। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করেছে পুলিশই।" তিনি জানান, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও তারা কাজ করছেন বলে জানান। | বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে মানুষকে ঘরে রাখা বা সামাজিক দূরত্ব মানানোর বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যতটা তৎপর ছিলেন, সেই তুলনায় গত কিছুদিন ধরে তাদের তৎপরতা কম বলে মনে করছে মানুষ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এশিয়ার বিভিন্ন দেশে টেলিনর গ্রুপের ব্যবসা আছে। বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ফোনের কাছে বিভিন্ন কর বাবদ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দাবির প্রেক্ষাপটে টেলিনর এই সালিশ চেয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নোটিশ কি অস্বাভাবিক? টেলিনর নরওয়ের টেলিকম কোম্পানি। এ কোম্পানির বড় অংশের মালিক নরওয়ের সরকার। গ্রামীণ ফোনের বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক টেলিনর। বাংলাদেশের সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ চুক্তি থাকলেও নরওয়ের সাথে এ সংক্রান্ত কোন চুক্তি নেই। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ তানজিবুল আলম বলেন, সাধারণত এ ধরণের চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট দুটি দেশ পরস্পরকে নিশ্চয়তা দেয়, তাদের দেশের সরকার বা কোন কোম্পানি যদি চুক্তি সম্পাদনকারী দেশে বিনিয়োগ করে, তাহলে তাদের সাথে কোন বৈষম্য করা হবে না। অর্থাৎ দেশীয় কোম্পানিকে যে দৃষ্টিতে দেখা হয়, চুক্তি সম্পাদনকারী দেশের কোম্পানিকেও একই দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে। এ ধরণের চুক্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, চুক্তি সম্পাদনকারী দুটি দেশ এমন কোন পদক্ষেপ নেবে না যার ফলে মনে করা হয় যে অপর দেশের বিনিয়োগকারীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সমতুল্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। টেলিনর নরওয়ের কোম্পানি হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে তারা মালিকানা বজায় রাখে। সে ধরণের একটি কোম্পানি হচ্ছে সিঙ্গাপুরে টেলিনর এশিয়া। সিঙ্গাপুরের কোম্পানি টেলিনর এশিয়া বাংলাদেশে গ্রামীণ ফোনের বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিবুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের একটি বিনিয়োগ চুক্তি আছে। "টেলিনরের বক্তব্য হচ্ছে, সরকার যে টাকা দাবি করেছে সে ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্যের সুযোগ না দিয়ে, কিংবা অন্য কোন উপায়ে মীমাংসার সুযোগ না দিয়ে আদায়ের যে পদ্ধতি নেয়া হয়েছে, সেটি তাদের ইনভেস্টমেন্ট বাজেয়াপ্তের শামিল," বলছিলেন তানজিবুল আলম। টেলিনর মনে করছে, সরকার যে টাকা দাবি করেছে সে সম্পর্কে তাদের যে দ্বিমত আছে, সেটি প্রকাশ করার সুযোগ দিতে হবে, ফোরাম দিতে হবে। মি: আলম বলেন, "কারো সম্পত্তি যখন বাজেয়াপ্ত করা হয়, তখন তাকে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়না। যেমন ধরুন - সরকার যদি বলে আপনার প্রপার্টি আমি একোয়ার করবো। তাহলে আপনি বলতে পারবেন না যে আমার প্রোপার্টি একোয়ার করা যাবে না। আপনি শুধু ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।" যেহেতু সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের বিনিয়োগ চুক্তি আছে এবং টেলিনর এশিয়া সিঙ্গাপুরে রেজিস্ট্রিকৃত কোম্পানি সেজন্য এই টাকার নিষ্পত্তি বাংলাদেশের ফোরামে হবে না। এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্বব্যাংক স্বীকৃত একটি ফোরাম রয়েছে যারা নাম - ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস বা সংক্ষেপে বলা হয় ইকসিড। যখন কোন বিদেশী বিনিয়োগকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের মতভেদ হয় তখন এই ফোরামে সেগুলোর নিষ্পত্তি হয়। ইকসিড ফোরামের সদরদপ্তর ওয়াশিংটনে। বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর উভয় দেশ এই ফোরামের সদস্য। তানজিবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ যদি কারো সাথে চুক্তি করে তাহলে সেটি করতে হয় রাষ্ট্রপতির নামে। "স্টেট লেভেলে যখন কোন লিগ্যাল অ্যাকশন শুরু হবে তখন সেটা প্রেসিডেন্টকেই প্রতিপক্ষ করা হয়," বলছিলেন মি: আলম। এই লিগ্যাল নোটিশে একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সে সময়ের মধ্যে যদি টেলিনর এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে তারা বিষয়টিকে ইকসিড ফোরামে নিয়ে যাবে। মোবাইল ফোন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এনেছে। সরকার কি এটা মানতে বাধ্য? আইনজীবী তানজিবুল আলম বলছেন, সরকার ইচ্ছে করলে এই ইকসিড ফোরামে অংশ নাও দিতে পারে। যেহেতু একটি দেশের সরকার সার্বভৌম, সেজন্য অন্য কোন ফোরাম সরকারকে কোন কিছু করতে বাধ্য করতে পারেনা। বাংলাদেশ সরকার যদি ইকসিড ফোরামে অংশ না নেয় তাহলে ইকসিড তাদের নিয়ম অনুসরণ করে অভিযোগটি নিষ্পত্তি করতে পারবে। আর যদি সরকার অংশ নেয় তাহলে ইকসিড উভয়পক্ষকে শুনে একটি সিদ্ধান্ত দেবে। মি. আলম বলেন, "ইকসিডের সিদ্ধান্ত যদি সরকারের বিপক্ষে যায়, তাহলেও সরকার সেটি মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে ইকসিডের সিদ্ধান্ত কোন সরকার মানতে অস্বীকার করে না।" এর কারণ হচ্ছে,যেসব দেশ ইকসিড কনভেনশনে সাক্ষর করে সংস্থাটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তারা যদি সে ফোরামের সিদ্ধান্ত না মানে তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে সে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। বাংলাদেশের অতীত কী বলে? ইকসিড ফোরামে জয়-পরাজয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ১৯৯০'র দশকের মাঝামাঝি ইটালির কোম্পানি সাইপেম-এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক বিরোধ হয়েছিল। সাইপেম কোম্পানি তখন বাংলাদেশে গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ করেছে। সাইপেম প্রায় সাড়ে ১২ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিল। কিন্তু সাইপেম-এর দাবি করা অর্থ বাংলাদেশ সরকার দিতে অস্বীকৃত জানালে ইটালিয়ান সে কোম্পানি বিষয়টিকে ইকসিড ফোরামে নিয়ে যায়। ২০০৪ সালে সাইপেম কোম্পানি ইকসিড-এর দ্বারস্থ হয় এবং ২০০৯ সালে ইকসিড ফোরাম এ রায় ঘোষণা করে। ইকসিড ফোরাম সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলার পাওনার পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে সাইপেম কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে আমেরিকান তেল কোম্পানি শেভরনের সাথে ইকসিড ফোরামে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ সরকার। শেভরন বাংলাদেশ সরকারের কাছে ২৪০ মিলিয়ন ডলার দাবি করে ২০০৬ সালে ইকসিড ফোরামের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এর শুনানি হয় নেদারল্যান্ডস-এর দ্য হেগ, ওয়াশিংটন এবং লন্ডনে। ২০১০ সালে শেভরনের দাবি বাতিল করে দেয় ইকসিড ফোরাম। ইকসিডে যাচ্ছে টেলিনর এবং বাংলাদেশের আদালতে মামলা করেছিল গ্রামীন ফোন। দুটো আলাদা বিষয় বলে বলে উল্লেখ করে তানজিবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের আদালতে গ্রামীন ফোন মামলা করলেও ইকসিড ফোরামে যেতে টেলিনরের কোন সমস্যা নেই। | বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণ ফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর সালিশ চেয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা জানান। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | কাতারের রাজধানী দোহার একটি সুপারমার্কেট ইরানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সৌদি আরব-সহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ গত সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে। সৌদি আরব-সহ ওই দেশগুলোর অভিযোগ কাতার জঙ্গিবাদে মদত দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে - যদিও সেই অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত - কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির সব স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরান এয়ারের একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত আমাদের মোট পাঁচটি প্লেন ফলমূল ও তরিতরকারি নিয়ে কাতারে পৌঁছেছে। শিগগিরি আরও একটা প্লেন রসদপত্র নিয়ে রওনা দেবে।" তবে এই সব খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে, না কি এটা কোনও বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশ - তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এএফপি আরও জানিয়েছে, ৩৫০ টন খাবারদাবার নিয়ে তিনটি জাহাজ নৌপথে শিগগিরি কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবে। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানগুলোর জন্য ইরান নিজেদের আকাশসীমাও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগে কাতারি বিমানগুলোর জন্য নিজেদের আকাশ বন্ধ করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য শিয়া-নেতৃত্বাধীন ইরান ও সুন্নি-নেতৃত্বাধীন সৌদির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে - তাই ওই পটভূমিতে ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতাই বর্তমান সংঘাতের একটা বড় কারণ। ফলে এখন কাতারে ইরানের এই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই তারা ধারণা করছেন। ওই অঞ্চলের আর একটি দেশ কুয়েত এই সঙ্কটে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে - গত সপ্তাহে তারা তাদের আমিরকেও সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: বশ্যতা স্বীকার করবে না কাতার, বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতার সংকট: আল জাজিরা কি টিকে থাকতে পারবে? কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করলেন ট্রাম্প কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য | প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে থেকে নজিরবিহীন আঞ্চলিক অবরোধের মুখে-পড়া কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই করে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে উপসাগরীয় দেশ ইরান। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান তবে এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। এই ত্রিশ বছরে যেমন তিনি নিজেকে সুপারস্টারে পরিণত করেছেন, তেমনি বেশ কিছু বিতর্কেও জড়িয়েছেন অনেক। ওয়াংখেড়ে কাণ্ড ভারতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল-এ অন্যতম আলোচিত দল কলকাতা নাইট রাইডার্স, আর শুরু থেকেই দলটির অন্যতম মালিক শাহরুখ খান। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১২ সালে আইপিএলের একটি ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের কর্মীদের সাথে বিতণ্ডায় জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হন তিনি। এই ঘটনায় মি. খানকে পাঁচ বছরের জন্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করা হয়। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনার পর শাহরুখের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সংগঠনটি বলেছিল, ওই ঘটনায় শাহরুখ খানের ব্যবহার যথাযথ ছিল না। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা সালমান খানের সাথে এক পর্যায়ে শাহরুখ খানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে ঝামেলা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তিনবার শাহরুখ খানকে 'আটক' করা হয়। ২০১২ সালে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনস এয়ারপোর্টে ৯০ মিনিট আটকে রাখা হয় তাকে। ২০১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস এয়ারপোর্টে একবার আটকে রাখা হয় - সেবার দু'টি টুইটও করেন শাহরুখ বিষয়টি উল্লেখ করে। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকেটি বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা আটক ছিলেন শাহরুখ, সেবার ভারতের দূতাবাস থেকে হস্তক্ষেপ করে তাঁকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বলিউড সুপারস্টারদের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান দীপিকা পাডুকোন: কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই বলিউড তারকাকে এরদোয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করায় বলিউড তারকা আমির খানকে 'দেশদ্রোহী'র তকমা শিবসেনার তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলে তোলপাড় ২০১৫ সালে শাহরুখ খান একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতে ওই সময়ে চলমান নানা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলেন এবং এ নিয়ে ঝামেলায়ও পড়েন। শাহরুখ বলেছিলেন যে অসহিষ্ণুতা 'চরম একটা পর্যায়ে আছে এবং আমি মনে করি এটা বাড়ছে'। ভারতে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীদের হত্যা এবং গরুর মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজনকে মেরে ফেলার ঘটনার পরে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও চলচ্চিত্রের সাথে জড়িতদের অনেকেই রাষ্ট্র থেকে পাওয়া নানা পুরস্কার ফেরত দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তখন। শাহরুখ খান বলেন, "মাংস খাওয়ার মতো একটা বিষয় নিয়ে আমরা যা করছি! মানুষের খাদ্যাভাস কী করে একটা ইস্যু হতে পারে।" শাহরুখ খান পশ্চিমবঙ্গের দূত হিসেবেও কাজ করেছেন নানা সময়ে বিষয়টিকে 'নির্বুদ্ধিতা' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, "অসহিষ্ণুতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। দেশপ্রেমিক হিসেবে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মনিরপেক্ষ না হওয়াটাই একটা বড় অপরাধ।" শাহরুখ খানের এই বক্তব্যের পর ভারতে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। বিশেষত ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির নেতারা এ ধরনের মন্তব্যের জন্য শাহরুখের সমালোচনা করেন। তবে বেশ অনেকেই আবার শাহরুখের পক্ষেও কথা বলেন - তাদের যুক্তি ছিল এমন যে শাহরুখ খান একটি সময়োচিত ইস্যুতে কথা বলেছেন। সালমান খানের সাথে বিবাদ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক সুপারস্টার সালমান খানের সাথে এক পর্যায়ে শাহরুখ খানের বিবাদ শুরু হয়। এর আগে বেশ কয়েকটি সফল সিনেমায় দু'জন একসাথে অভিনয় করলেও দুই খান একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। দুই নায়কের ভক্তরাও এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা তর্কে বিতর্কে জড়ান। তবে উভয়পক্ষই এখন দাবি করছেন যে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের দূরত্ব মিটে গেছে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে মুক্তি পাওয়া 'জিরো' সিনেমায়, দু'জন একসাথে একটি গানে নাচেনও। ফারাহ খানের স্বামীকে থাপ্পড়ের ঘটনা শাহরুখ খান বলিউডের সিনেমা পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের স্বামী শিরিশ কুন্দারকে একবার চড় মেরেছিলেন। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক পার্টিতে এই ঘটনা ঘটে। ভারতের গণমাধ্যমে এই খবর বেশ ফলাও করে ছাপা হয় এবং সিনেমার ভক্তদের মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। ফারাহ খান শাহরুখের জনপ্রিয় সিনেমা 'ম্যা হু না' এবং 'ওম শান্তি ওম'-এর পরিচালক। | ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার শাহরুখ খান আজ সোমবার পালন করছেন তার ৫৫তম জন্মদিন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | শ্রীলংকার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দুই পদে বর্তমানে রয়েছেন দুই ভাই, মাহিন্দা রাজাপাকশা ও গোটাভায়া রাজাপাকশা সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া গোটাভায়া রাজাপাকশা অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকশার শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। কলম্বোতে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শপথ নেন মাহিন্দা রাজাপাকশা। রবিবার তার ছোটভাই গোটাভায়া রাজাপাকশা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর সকল শ্রীলংকান নাগরিকদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে দেশ শাসন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো রাজাপাকশা ভাইদের ক্ষমতায় আসার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। শেষবার তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ব্যাপক আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। ২০০৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দা রাজাপাকশা। সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার নিয়মের কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। সেসময় গোটাভায়া ছিলেন তার ক্ষমতাশালী প্রতিরক্ষা সচিব। দুইবারের প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশার (বামে) আমলে গোটাভায়া রাজাপাকশা ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেসময় কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দু'জনই। রাজাপাকসে'রা কেন সমালোচিত? ২০০৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগারদের (এলটিটিই) পরাজয়ের পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল দুই রাজাপাকশা ভাইয়ের। বলা হয় কয়েক দশক ধরে চলা শ্রীলংকার ঐ গৃহযুদ্ধে অন্তত এক লাখ মানুষ মারা যায়। গৃহযুদ্ধের শেষদিকে হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়। অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন বা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে যেখানে আত্মসমর্পণ করা এলটিটিই সেনাদের হত্যা করা হয়েছে। সাদা পতাকা দেখানোর পর বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেয়ার পরও তাদের হত্যা করা হয়েছে - এমন অভিযোগও রয়েছে। তারা বলছেন, এসব ঘটনার ভিডিওসহ প্রমাণও রয়েছে। তবে সরকার সবসময়ই ঢালাওভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরবর্তী বছরগুলোতেও গুমের ঘটনা অব্যাহত থেকেছে। তারা বলছেন, রাজাপাকশাদের বিরোধী হিসেবে মনে করা হয়, এমন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের আটক করার পর তাদরেকে আর কখনো দেখা যায়নি। ঐসব ব্যক্তিদের নিখোঁজ হওয়ায় বিষয়ে রাজাপাকশা সরকারের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করে তারা। এবছরের শুরুতে গোটাভায়া রাজাপাকশা বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ 'ভিত্তিহীন।' শ্রীলঙ্কা হামলা: মুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন? শ্রীলঙ্কা: ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশে ক্ষমতার লড়াই আত্মহত্যা ঠেকাতে কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে যেসব দেশ সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন যুদ্ধের সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তামিল সেনাদের পরিবারের সদস্যরা আজ অবধি তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের পরিণতি পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। রাজাপাকশাদের সমর্থক কারা? এবছরের এপ্রিলে ইস্টার সানডেতে হওয়া বোমা হামলার পর শ্রীলংকায় আবারো অস্থিরতা শুরু হয়। শ্রীলংকার পূর্ববর্তী সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল যে তাদের গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা থাকার কারণেই সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পায়নি তারা। কিন্তু এপ্রিলের হামলার পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে হওয়া গণবিক্ষোভ এবং ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্যের কারণে সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের অনেকেই আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন। সংখ্যালঘু তামিলরাও নতুন প্রেসিডেন্টকে এখনো সন্দেহের চোখে দেখেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সমর্থনই গোটাভায়া রাজাপাকশার নির্বাচনে জয়ের পেছনে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। শ্রীলংকার ২.২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ ভাগই সিংহলি এবং তাদের সিংহভাগই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তামিল জনগোষ্ঠী এবং মুসলিমরা সংখ্যালঘু। শ্রীলংকার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের নাগরিকদের অধিকাংশই গোটাভায়া রাজাপাকশাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এসব অঞ্চলের বাসিন্দা মূলত তামিল, হিন্দু ও মুসলিমরা, যারা গোটাভায়া রাজাপাকশার প্রতিপক্ষ সাজিথ প্রেমাদাসাকে সমর্থন করেছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি কী? সংখ্যালঘুদের অনেকেই মনে করেন এখন পর্যন্ত যেরকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তা আশ্বাসজনক নয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই গোটাভায়া রাজাপাকশা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি বলেন যে তাকে যারা ভোট দিয়েছে এবং যারা দেয়নি, দুপক্ষের নেতা হিসেবেই কাজ করবেন তিনি। কিন্তু শপথ গ্রহণের সময় তিনি পরিস্কারভাবে বলেন যে সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে 'যেমন সমর্থন আশা করেছিলেন' তা না পাওয়ায় তিনি ক্ষুণ্ন। "আমি সবসময়ই জানতাম যে জয়ের জন্য শুধু সিংহলিদের ভোটই প্রয়োজন আমার। তবুও তামিল ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি বিশেষ আহ্বান করেছিলাম আমি। তাদের কাছ থেকে এই মাত্রার প্রত্যাখ্যান আশা করিনি আমি।" শ্রীলংকার গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়েও এরই মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে ধারণা করা যাচ্ছে, সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী বাতিল করবে সরকার। ঐ সংশোধনী অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন। এছাড়া মানবাধিকার, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা ও জন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্তে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়গুলোও রয়েছে ঐ সংশোধনীতে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া ক্ষমতাবলে এরই মধ্যে গোটাভায়া রাজাপাকশার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে। | শ্রীলঙ্কার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যে দুই ভাই দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, ১০ বছর পর তারা আবারো ক্ষমতায় ফিরেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে অবস্থানরত দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের একটি আমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর করেন। আরো পড়ুন: আশির দশকে ইডেন গার্ডেনসে খেলেছিলেন যে নারী মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া তাদের সব পারমানবিক এবং মিসাইল কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে হুমকি ও পাল্টা হুমকির মাঝে এ ধরণের বৈঠকের বিষয়টি বড় ধরনের অগ্রগতি। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা পিয়ংইয়ং-এ উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে একটি নজিরবিহীন বৈঠক করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ এবং স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে ফেসবুকে আশ্রয় চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা? | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের সাথে বৈঠক করতে রাজী হয়েছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার ভয় এখন শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যেও। পরিস্থিতির ব্যাপকতা বোঝা যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দেখে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১৭০০'র বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল দায়িত্বরত নার্সরা রোগীদের বারবার তাগাদা দিচ্ছেন মশারি টাঙানোর জন্য। নার্স মনি আক্তার বলেন, "আমরা নিজেরাও তো ভয়ে আছি। যেমন এই পেশেন্ট মশারি টানালো না। তাহলে কী হবে? মশা কামড় দিবে। তখন পাশের আরেকটি ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। এই যে আমরা কাজ করতেছি, সেজন্য আমরাও তো সেফ না।" হৃদরোগী কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কী করবেন এডিস মশা সম্পর্কে যেসব তথ্য জেনে রাখা ভাল সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার এবং নার্সরা এখন বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তেই রোগী আসছেন এসব হাসপাতালে। সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বিবিসি বাংলাকে বলেন, সাধারণ তারা একদিনে যত সংখ্যক রোগী দেখতেন, এখন তার তিনগুণ বেশী রোগী দেখতে হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার আশংকা নিয়ে তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তত দুইজন ডাক্তারের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এ বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সব হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলেও সবচেয়ে বেশী রোগী ছুটছেন সরকারী হাসপাতালগুলোতে। এসব হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের ঠাই হওয়া মুশকিল। "এটা আপনারা এখন জাস্টিফাই করবেন যে ডাক্তাররা আসলে কাজ করেন নাকি করেন না?" - প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসক আইরিন নবী। ডাক্তার আইরিন নবী। শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নয়, তার কাছেই ঢাকা শিশু হাসপাতালেও একই চিত্র। এই হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ সেন্টারের সাথে কথা বলে জানা গেল, প্রতিদিন প্রায় দেড়শোর মতো শিশুকে আনা হচ্ছে। তাদের বাবা-মা শিশুর শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে জানতে চান, শিশুটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা? শিশু হাসপাতালের এক ডাক্তার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বিষয়টা যদিও আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর, তারপরেও তো আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।" শিশু হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ সেন্টার থেকে জানানো হয়, প্রতিদিন যত শিশু আসছে তাদের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি শিশুর রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এই সন্দেহে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শতশত মানুষ আসছেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে। ফলে রক্ত পরীক্ষার জন্য চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন হাসপাতালে শুধু রক্ত পরীক্ষার জন্যই ল্যাবরেটরিতে বাড়তি লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রয়োজনের তুলনায় সেটি অনেক কম বলে মনে করছেন হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের এখন অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে। "পেশেন্ট বাড়ার সাথে-সাথে কাজ বাড়বে, এটাই তো নরমাল। কিন্তু ডেঙ্গু পেশেন্ট আসার কারণে কাজ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে," বলছিলেন নার্স মনি আক্তার। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল-মুখী স্রোত থামছেই না। এ সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আর ১০-১১ দিন পরেই বাংলাদেশে ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঈদের ছুটির সময়ে হাসপাতালের জরুরী কার্যক্রম সীমিতভাবে হলেও চালু থাকে। তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখে হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, আসন্ন ঈদের সময়টাতেও হয়তো অনেক চিকিৎসক ও নার্সের শেষ পর্যন্ত ছুটি মিলবে না, কারণ অবস্থা সামাল দিতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ওসামা বিন লাদেনের ছেলে 'মারা গেছেন' নীরব ঘাতক সেপটিক ট্যাংক: বাঁচার উপায় কী মুসলিমের ডেলিভারি করা খাবার ফেরত নিয়ে বিতর্ক | বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর শতশত মানুষ এখন ছুটছেন হাসপাতালগুলোতে - কেউ রোগী হিসেবে ভর্তি হতে, কেউবা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কিন্তু রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআর-এর কাছ থেকে পরীক্ষার দায়িত্ব সরিয়ে নেয়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। আইইডিসিআর ব্যর্থ হয়েছে নাকি সরকারের আগের পরিকল্পনাতেই গলদ ছিল- এমন সব প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআর-এই দু'টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অনেকের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তারা বিষয়টিকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মূল যুক্তি হচ্ছে, আইইডিসিআর তাদের প্রধান কাজ অর্থ্যাৎ সারাদেশে ল্যাবগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং সংক্রমণ পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। একইসাথে সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার কাজও সঠিকভাবে হয়নি। এসব বক্তব্যের ব্যাপারে যুক্তি দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলেছে, গত সপ্তাহে আইইডিসিআর-এর ল্যাব সংক্রমিত হয়েছিল এবং সেজন্য সেই ল্যাবে ২৪ ঘন্টা পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আইইডিসিআর-এর ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে তাদের কয়েকজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। আইইডিসিআর-এর ল্যাবে কেন এমন সমস্যা হবে, সেই প্রশ্নও তোলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রগুলো। তবে আইইডিসিআর-এর কর্মকর্তারা সংক্রমণের কারণে তাদের ল্যাবে পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলেছে, এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হচ্ছে। এই বড় অংকের নমুনা সংগ্রহ এবং দেখভালের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা আইইডিসিআর এর নেই বলে সূত্রগুলো মনে করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বিবিসিকে বলেছেন, "করোনাভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেজন্য পরীক্ষা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এখন ৩১টি ল্যাবে পরীক্ষা হচ্ছে। এই ল্যাবগুলোর মান দেখার দায়িত্ব আইইডিসিআর এর। ''তাদের আরও দায়িত্ব আছে। যেমন লক্ষণ ছাড়া অনেকের মৃত্যু হচ্ছে এবং পুলিশ সহ অনেক পেশার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। কেন এটা হচ্ছে তা জানা দরকার। পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আইইডিসিআর-এর ম্যান্ডেট হলো এই কাজগুলো করা। তারা এখন সেই কাজ করবে। আমরা আলোচনা করেই এটা ঠিক করেছি।" তিনি আরও বলেছেন, "আইইডিসিআর-কে এখন রিসার্চ এবং রেফারেন্স ল্যাব করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন ল্যাবে যেসব পরীক্ষা হচ্ছে, সেগুলোর মান নিয়ে তারা এখন গবেষণা করবে।" ঘটনাটিকে ঘিরে আইইডিসিআর কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি। ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সূত্র বলেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই আইইডিসিআর সামনের সারিতে ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থেকে তাদের কাছ থেকে সরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারেরই কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ঈর্ষা থাকতে পারে। এছাড়া এই সূত্রগুলো মনে করছে, যেহেতু লোকবল কম, সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই লোকবল দিয়ে তাদের সাহায্য করছিল। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ক্ষেত্রে সেটিও একটি কারণ বলে তাদের ধারণা। যদিও আইইডিসিআর-এর কর্মকর্তারা এতদিন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে রাজি নন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলেছে, আইইডিসিআ-এর পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার কাজে বিলম্ব হওয়ার অনেক অভিযোগ আসে। সর্বশেষ তাদের ল্যাবে সমস্যা হওয়ায় ১৫০০ নমুনা পরীক্ষার জটে পড়ে গিয়েছিল। সেগুলো এখন বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে আইইডিসিআর-এর কাছে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ না রাখার পরামর্শ দিয়ে আসছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক একজন পরিচালক ডা: বে-নজীর আহমেদ বলেছেন, পরীক্ষার ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালগুলোর ওপর আইইডিআর এর কর্তৃত্ব নেই। ফলে তারা আইইডিসিআর-র কথা সেভাবে গুরুত্ব না দেয়ায় কাজের সমস্যা হয়। সেজন্য তারা বিশেষজ্ঞদের বেশ আগে প্রতিষ্ঠানটির এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, "আমরা যদি একটু দূরের দিকে তাকাতাম, তাহলে অনেক আগেই এরকম সিদ্ধান্ত দিতাম। এখন ঘাটতি যেটা হলো, আমাদের রোগতাত্ত্বিক নানাধরণের বিশ্লেষণ হয়নি। ফলে সে ধরণের কোন বিশ্লেষণ না থাকায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতেও সমস্যা হচ্ছে।" নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভাইরোলজিস্ট বলেছেন, সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই এতদিন আইইডিসিআর-এর কাছে পরীক্ষার সব দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন সংক্রমণের মাত্রা যখন খারাপের দিকে যাচ্ছে, তখন কারও ওপর দায় চাপিয়ে পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এসব বক্তব্য আবার মানতে রাজি নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, আইইডিসিআর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরই একটি প্রতিষ্ঠান। তারা একে অপরকে সহযোগিতার ভিত্তিতেই কাজ করছেন। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মহামারি স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা কীভাবে ছড়িয়েছিল বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় মহামারির মধ্যে সাধারণ রোগের চিকিৎসায় অচলাবস্থা | বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার পর ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি বলে জানা গেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মি: এরদোয়ান 'নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা' পেয়েছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে সেখানে মি: এরদোয়ান ৫৩ শতাংশ ভোট এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররম ইঞ্জে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। বিরোধী রাজনৈতিক দল এখনো নির্বাচনে তাঁদের পরাজয় স্বীকার করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, ফলাফল যাই হোক না কেন তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে যাবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন তুরস্কের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ কেন? শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন এর আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ভোটের যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছিল সেটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দল। চূড়ান্ত ফলাফল শুক্রবার প্রকাশ করা হবে। রোববার একই দিনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কে। মি: এরদোয়ান বলেছেন, তাঁর দল এ কে পার্টি সংসদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তিনি বলেন, "পুরো বিশ্বকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে তুরস্ক।" নির্বাচনের পরে তুরস্কে যে নতুন সংবিধান বলবত হতে যাচ্ছে সেখানে প্রেসিডেন্টের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে সংসদ নির্বাচনে যে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে সেখানে মি: এরদোয়ানের একে পার্টি পেয়েছে ৪২ শতাংশ ভোট এবং তাদের দলে প্রতিন্দ্বদ্বী সিএইচপি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট। ইস্তাম্বুলের রাস্তায় এরদোয়ান সমর্থকদের উল্লাস। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ৮৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। মি: এরদোয়ান বলেন, " আমি আশা করি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কেউ নেতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করবে না।" বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে যে সিএইচপি দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মুহাররম ইঞ্জে তাঁর পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও মি: এরদোয়ান আগাম নির্বাচন দিয়েছেন। এ নির্বাচনের পর মি: এরদোয়ান নতুন সংবিধান অনুযায়ী দেশ শাসন করবেন। নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট হবেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি: এরদোয়ানের বিরুদ্ধে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মুহাররম ইঞ্জে অভিযোগ করেন যে তিনি কর্তৃত্ববাদী শাসন চালাচ্ছেন। নির্বাচনে মি: এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ মুহাররম ইঞ্জে। মি: এরদোয়ানের দল একে পার্টির মূল ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। অন্যদিকে, মি: ইঞ্জের দল মধ্য-বামপন্থী। তুরস্কের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু ছিল দেশটির অর্থনীতি। তুরস্কের মুদ্রা লিরার ব্যাপক দরপতন হয়েছে এবং দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ। কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপের হুমকি মোকাবেলা করাও তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংবাদদাতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ভোটাররা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিলেন। একটি হচ্ছে কুর্দি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে বিভক্তি এবং অপরটি হচ্ছে ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির মাঝে বিভক্তি। আরো পড়ুন: তুরস্কে নির্বাচন: শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে এরদোয়ান? জার্মানি ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন যে সিরিয়ানরা অস্ট্রিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে সাতটি মসজিদ | তুরস্কের দীর্ঘদিনের নেতা রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে বাল্য বিয়ে পনের শতাংশ কমে এসেছে। পুলিশের হেল্পলাইনে (৯৯৯) ফোন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাহায্য নিয়ে বিয়ে থামানোর পর হাতিয়ার দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক তরিকুল ইসলাম শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হন বলে তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন। মি. তরিকুল জানান, তিনি যেই মাদ্রাসার শিক্ষক, সেখানকার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে জানতে পেরে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হন। "গত সোমবার (২৮শে জানুয়ারি) মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে ক্লাসে আসেনি। তার অভিভাবকদের আমি বুঝিয়ে বিয়ে থামানোর চেষ্টা করি", বলেন মি. তরিকুল। তার বোঝানো সত্ত্বেও ঐ ছাত্রীর পরিবার বিয়ে থামাতে রাজী না হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মি. তরিকুল। "শুরুতে আমি পুলিশের হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানাই। তারপর তাদের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করি।" উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ সম্পর্কে জানানো হলে তিনি এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন বলে জানান মি. তরিকুল। মি. তরিকুল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়নি। মি. তরিকুল জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর মসজিদ থেকে তাকে এবং মসজিদের ইমামকে কয়েকজন যুবক ডেকে নিয়ে যায়। ঐ যুবকরা ছেলেপক্ষের লোক বলে ধারণা প্রকাশ করেন মি. তরিকুল। "কয়েকজন যুবক একপর্যায়ে আমাদের দু্ই জনের ওপর আক্রমণ করে। তারা লোহার রড এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাদের পেটায়।" পরে দু'জনকে ধরে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেও বেঁধে রেখে মারধোর করা হয় বলে জানান মি. তরিকুল। "আমাদের চিৎকার শুনে একপর্যায়ে এলাকার লোকজন আসে এবং আমাদের উদ্ধার করে", জানান মি. তরিকুল। এরপর দুইদিন নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মি. তরিকুল। এ ঘটনায় র্ধষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে শুক্রবার সকালে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। এ ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম বিবিসি বাংলাকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে তিনি গ্রামপুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। "প্রাথমিকভাবে পুলিশি হস্তেক্ষেপে বিয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ হলেও পরে আবার অন্য জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়।" আরো পড়তে পারেন: আয়না নিয়ে যত অদ্ভুত ধারণা উষ্ণতা বৃদ্ধিই কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচণ্ড ঠাণ্ডার পেছনের কারণ? 'চাকরিটার যোগ্যতা ছিল, কিন্তু টুপি দাড়ির জন্য পাইনি' জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা, ইউনিসেফের ২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়েরই বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়স হবার আগেই। এশিয় দেশগুলোর মধ্যে বাল্যবিবাহের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। ২০২১ সালের মধ্যে এই হার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। যদিও বাল্যবিবাহ নিরোধে নতুন আইনে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ের সুযোগ থাকায় এনিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। | বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে ঐ এলাকার একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়রানির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | মানব বন্ধন ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগ থেকে নিখোঁজ হওয়া আটজনের মধ্যে সাজেদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাও রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র। পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব তাদের তুলে নিয়ে গুম করেছে বলে নিখোঁজ লোকদের পরিবারগুলো অভিযোগ করছে। তারা বলছেন, তাদের স্বজনদের খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিক থেকে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না । তবে র্যাব বা পুলিশ বরাবরই এ ধরণের কোন ঘটনার কথা অস্বীকার করে আসছে। ওই ঘটনার এক বছর উপলক্ষে একটি সেমিনারেরও আয়োজন করে একটি মানবাধিকার সংগঠন। অনুষ্ঠানে আটটি পরিবার তাদের হতাশার কথা বর্ণনা করেন । মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোর সাথে করা জড়িত সেটি খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা তারা সরকারের দিক থেকে দেখছেন না । স্বজনদের গুম হয়ে যাবার বিষয়টি বর্ণনা করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছে প্রতিটি পরিবার। কারও মা, কারও স্ত্রী কিংবা বোন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। প্রতিটি ঘটনাতেই তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অনুষ্ঠানে নিখোঁজদের আত্মীয়স্বজনরা তিতুমীর কলেজের ছাত্র আব্দুল কাদের ভূঁইয়া মাসুমের মা আয়েশা আলী এখন শুধু জানতে চান তার ছেলের পরিণতি কি হয়েছে। আয়েশা আলী বলেন , “আমাদের সন্তান বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, সেটি জানার অধিকার কি আমাদের নেই? ” ঢাকার ৩৮নং ওয়ার্ডের একজন বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন গুম হয়েছেন এক বছর আগে । তার বোন সানজিদা ইসলাম বলেন তাদের পরিবার এখনও আশা করছে সুমন ফিরে আসবে । কিন্তু মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন মনে করেন, এ ধরনের অস্বীকার করার সুযোগ নেই । তিনি বলেন গুম হবার সব ঘটনায় অভিযোগ করা হচ্ছে না। যেসব ঘটনার সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ আছে সেগুলোর ব্যাপারেই অভিযোগ করা হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে সহমর্মিতা দেখাতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার । তিনি বলেন, ঘটনা অস্বীকার করলে এর প্রবণতা বাড়তে থাকবে । তিনি বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিণীর ছদ্মবেশে যদি অপরাধীরাও এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেটি তাদেরই দায়িত্ব খুঁজে বের করা । মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন একটি নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন করে গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত । তাহলে গুম হবার ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা যাবে বলে তারা মনে করেন। | বাংলাদেশে এক বছর আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া আটজন তরুণের সন্ধানের দাবি জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা। আজ এই দাবিতে তারা ঢাকায় মানববন্ধন করেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বায়তুল মোকাররম মসজিদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতি এ কথা জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদকে উদ্ধৃত করে জনসংযোগ কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন "করোনাভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে সুন্নত এবং নফল নামাজ বাসা থেকে পড়ে আসুন, বিদেশ ফেরত ব্যক্তি, জ্বর, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত ও অসুন্থ ব্যক্তিসহ কোয়রেন্টিনে থাকা ব্যক্তিগণ ঘরে জোহরের নামাজ পড়ুন"। এর আগে ১৯শে মার্চ আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এভাবেই জুমার নামাজ পড়তে হবে। এর আগে ১৯ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া আরেকটা বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমান অবস্থায় কোন ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজন না করার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? করোনাভাইরাস: 'লকডাউন' করা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা | করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের মুসলিমদের শুক্রবার জুমার নামাজের সুন্নত এবং নফল নামাজ বাসায় পড়ার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির ইসলামিক ফাউন্ডেশন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন যদিও সম্মেলনে দুই প্রেসিডেন্টের এই সাক্ষাত ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত এবং অনির্ধারিত। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বি-পাক্ষিক কোন আলোচনা হয়নি। টুইটারে মি. ট্রাম্প তার সমালোচকদের 'নিন্দুক ও বোকার দল' অভিহিত করে লিখেছেন, তারা দুই দেশের সম্পর্ক ভালো করার ব্যপারে উৎসাহী না একেবারেই। এপেক শীর্ষ সম্মেলনের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন মি. ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত আলোচনার বিষয়ে। জানিয়েছেন, অল্প সময়েই দুই নেতার আলোচনার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের মতো বিতর্কিত ও সমালোচিত বিষয়ও ছিল। মি. ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আরো পড়ুন: যোগ ব্যায়াম শেখানোয় হুমকিতে মুসলিম নারী সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে যুদ্ধ কি আসন্ন? এ ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট অপমানিত বোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, মি. পুতিন বলেছেন যে তিনি হস্তক্ষেপ করেন নি। মি. ট্রাম্প আবারো তাকে একই প্রশ্ন করলে মি. পুতিন একই উত্তর দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের তখন বলেন যে, এই ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট খুব অপমানিত হয়েছেন এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে মোটেই ভালো কিছু নয়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ওই রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে। বিশেষ তদন্তকারী হিসেবে রবার্ট মুলারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছ এবং এরই মধ্যে মি. ট্রাম্পের সাবেক কয়েকজন সহযোগীর নামও উঠে এসেছে সেখানে। | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভিয়েতনামে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এপেক সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার 'ফলপ্রসু আলোচনা' হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ম্যালেরিয়ার চিকিতসায় অনেকদিন আগে থেকেই আর্টেমিসিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে খবরটা হলো, দেশটিতে একটি স্থানীয় উদ্ভিদ থেকে তৈরি পানীয় ব্যবহার করা হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য। মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রি রাজোইলিনা স্বয়ং আর্টেমিসিয়া নামে ওই গাছের 'আশ্চর্য গুণের কথা' প্রচার করেছিলেন। জানা গেছে, আর্টেমিসিয়া নামে সেই গাছের নির্যাস ম্যালেরিয়া রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর। কিন্তু তা কোভিড-১৯ মোকাবিলা করতে পারে এমন কোন প্রমাণ নেই - বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে ব্যাপারটা কি? এই গাছ এবং তার গুণ সম্পর্কে তাহলে কতটুকু জানা যায়? কোথা থেকে এলো এই আর্টেমিসিয়া? আর্টেমিসিয়ার আদি উৎস এশিয়া। কিন্তু অন্য বহু দেশেই এটা হয়ে থাকে - যেখানে আবহাওয়া গরম এবং প্রচুর রোদ পাওয়া যায়। চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরিতে এই আর্টেমিসিয়া ব্যবহৃত হয়ে আসছে ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। মাদাগাস্কারে চাষ হচ্ছে আর্টেমিসিয়ার আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি ওষুধ সাধারণত সেখানে ম্যালেরিয়া বা জ্বর সারাতে এবং বেদনা-উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চীনা ভেষজশাস্ত্রে একে বলা হয় কিংহাও। ইংরেজিতে একে সুইট ওয়ার্মউড বা এ্যানুয়াল ওয়ার্মউড বলা হয়। বিকল্প ওষুধ হিসেবে বা কিছু কিছু মদ তৈরিতেও এর ব্যবহার আছে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কি আর্টেমিসিয়া কাজ করে? এ বছর এপ্রিল মাসে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট রাজোইলিনা বলেছিলেন, আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি কোভিড-অর্গানিক্স নামে একটি পানীয়ের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে এবং তা এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকর বলে দেখা গেছে। নভেম্বর মাসে তিনি সেই একই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। কিন্তু এর পক্ষে কোন প্রমাণ প্রকাশ্যে দেখানো হয়নি। ঠিক কি কি উপাদান দিঢে এই পানয়িটি তৈরি হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে সরকার বলেছে যে এর ৬০ শতাংশই এসেছে আর্টেূমিসিয়া গাছ থেকে। মাদাগাস্কারে এটির ক্যাপসুল ও ইনজেকশনও তৈরি হয়েছে এবং তা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা অর্থা্ৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রি রাজোইলিনার হাতে আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি পানীয় জার্মান এবং ড্যানিশ বিজ্ঞানীরা এখন আর্টেমিসিয়া এ্যানুয়া গাছের নির্যাস পরীক্ষা করে দেখছেন। তারা বলছেন, ল্যাবরেটরিতে চালানো পরীক্ষায় তারা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এর কিছুটা কার্যকারিতা দেখতে পেয়েছেন। এ গবেষণায় দেখা গেছে যে এই নির্যাসকে যখন বিশুদ্ধ ইথানল বা পাতিত পানির সাথে ব্যবহার করা হয়, তখন তা এ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে বলে দেখা গেছে। তবে তাদের এই গবেষণা অন্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বাধীনভাবে যাচাই করানো হয়নি। এই গবেষকরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করছেন, এবং কোন এক পর্যায়ে এটা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা করা হবে। চীনও নিজেদের উদ্যোগে সেদেশে আর্টেমিসিয়া এ্যানুয়া উদ্ভিদ ব্যবহার করে যেসব ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরি হয় - তা পরীক্ষা করে দেখছে। আর্টেমিসিয়া উদ্ভিদের একাধিক প্রজাতি আছে। এর মধ্যে আর্টেমিসিয়া এ্যানুয়া এবং আর্টেমিসিয়া আফ্রা নামের দুটি প্রজাতি কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে কাজ করে কিনা তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। কিন্তু এর এখনো কোন ফলাফল পাওয়া যায় নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তারা এখনও মাদাগাস্কারের পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পায়নি। সংস্থাটির আফ্রিকান অঞ্চলের কর্মকর্তা জঁ-ব্যাপটিস্ট নিকিয়েমা বিবিসিকে বলেছেন, প্রথম ট্রায়ালগুলোর ফলাফল দেখার পর তারা হয় পরবর্তী পর্বের ট্রয়ালগুলোতে জড়িত হতে পারেন। ম্যালেরিয়ার জীবাণু অনেক ওষুধ ঠেকানোর ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে তবে এখন পর্যন্ত ডব্লিউ এইচ ও বলছে, আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি কোন পণ্য কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে কাজ করে এমন কোন প্রমাণ নেই। তারা আরো বলেছে যে ওষুধ তৈরি হয় এমন সকল উদ্ভিদেরই কার্যকারিতা এবং ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কঠোর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কীভাবে আর্টেমিসিয়া ব্যবহৃত হয়? আর্টেমিসিয়া এ্যানুয়া গাছের শুকনো পাতায় যে সক্রিয় উপাদানটি পাওয়া যায় তাকে বলে আর্টেমিসিন - এবং তা সত্যিই ম্যালেরিয়া সারাতে কাজ করে। চীনে ১৯৭০এর দশকে যখন ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরির গবেষণা চলছিল - তখনই সেখানকার বিজ্ঞানীরা এটা আবিষ্কার করেছিলেন। আর্টেমিসিন-ভিত্তিক কম্বিনেশন থেরাপি - যাকে বলা হয় এসিটি - তা ম্যালেরিয়া সারাতে ব্যবহারে সুপারিশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে ম্যালেরিয়ার যেসব টাইপ এখন ক্লোরোকুইন-প্রতিরোধী হয়ে গেছে - সেগুলোর ক্ষেত্রেই এ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এসিটি-তে আর্টেমিসিন-জাত উপাদান ছাড়াও অন্য আরো কিছু পদার্থ থাকে - যা মানবদেহে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটের সংখ্যা কমাতে পারে। গত ১৫ বছরে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয় এমন কিছু দেশে এসিটি সহজলভ্য হবার পর তা বৈশ্বিকভাবে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনকে কমাতে সহায়তা করেছে। তবে ম্যালেরিয়া সারাতে আর্টেমিসিয়া নির্যাসে ব্যবহার এখন বেড়ে গেছে। আর্টেমিসিয়া-নির্যাসযুক্ত চা-ও পাওয়া যাচ্ছে এর ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে এক সময় হয়তো ম্যালেরিয়ার জীবাণুর এই আর্টেমিসিয়া ঠেকানোর ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে ইতোমধ্যেই এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাই বিশ্বস্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন ওষুধ ছাড়া অন্য কোন পণ্যে আর্টেমিসিয়া ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছে। | পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত, সেই সময়ই - এ বছর এপ্রিল মাসে - সারা পৃথিবীর সংবাদ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছিল আফ্রিকা মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কার থেকে আসা একটি খবর। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য দিল্লিকেই বেছে নিলেন এ কে আব্দুল মোমেন। এ সফরের আগে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের জোরদার সমর্থন আশা করেন তিনি। দিল্লিতে দু'দেশের মধ্যকার যৌথ পরামর্শক কমিশন বা জেসিসির এই বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবার পর এটিই ড. মোমেনের প্রথম বিদেশ সফর এবং এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে তার বৈঠক হবে। চীনের বেল্ট রোড নিয়ে ঢাকাকে যা বলতে চায় দিল্লি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব ভারতের কাছ থেকে কতটা লাভ পেল বাংলাদেশ? জেসিসির এ বৈঠকে যোগাযোগ, পানিসম্পদ, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, এবং বাণিজ্য সহ দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন হয়ে যাবার পর দুদেশের প্রথম উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠকটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড দেলোয়ার হোসেন বলছেন এ বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন। "দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ ও একই সাথে দু দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পূর্বনির্ধারিত বিষয় ছিলো। বাংলাদেশ নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি সরকারের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য তৈরি হয়নি"। মিস্টার হোসেন বলেন, জেসিসি বৈঠকে নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা ইস্যু উঠবে এবং আঞ্চলিক ইস্যু হিসেবে এটিতে ভারতের সহযোগিতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাইবেন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ "ভারত যেনো আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। এটির নিষ্পত্তি না হলে পুরো অঞ্চলের জন্যই এক ধরনের সমস্যা হবে। এটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন। অর্থাৎ ভারতকে আরও সম্পৃক্ত করা"। এছাড়া সংস্কৃতিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে দু'দেশের মধ্যে। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ চাইছে ও বড় প্রকল্পে জড়িত হচ্ছে চীনের সাথে সে বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে মিস্টার হোসেন বলেন, এটি ভারত জানে কারণ চীনের সাথে বাংলাদেশের এ সম্পর্ক অনেক পুরনো। "ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা সাবমেরিন কেনার বিষয় ভারত যেভাবে দেখছে তার সাথে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য আছে।" তিনি বলেন, "ভারতের যেমন চীন নিয়ে ভিন্ন অবস্থান কিন্তু আবার চীনের সাথেও তাদের বাণিজ্য আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পুরো বিষয়টি আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত,"। | দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে আরও সম্পৃক্ত করার বিষয়ে চেষ্টা করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | কলা ভবনের অপরাজেয় বাংলাদেশ ভাস্কর্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বিবিসি বাংলা কে জানান, আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিষদ বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি জানান আগামী সিন্ডিকেট বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। "সিন্ডিকেটের সভার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে" বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান তবে তিনি বলেন, এই সব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কারণে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। আগে গত বছরের ৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিআইডি চার্জশিট দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। একইসঙ্গে এসব শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়, যার জবাবের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ৬০জনকে আজীবন বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ব্যাগের ফাঁক দিয়ে পুরুষাঙ্গ দেখাচ্ছিল লোকটি' সিরিয়ার কুর্দি নেতা হেভরিন খালাফের হত্যা নিয়ে রহস্য অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের বিশ্বাস বনে আগুন প্রয়োজন সাগরে প্রাণ রক্ষা করে জেলে গিয়েছিলেন যে ক্যাপ্টেন | প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকা এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং আরো নয় জন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিষদ। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | অনেক নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিলেন সেখানকার এক শিক্ষক একবার তাকে নিজের কক্ষে ডাকেন। রুমে ঢোকার পর সে শিক্ষক তাঁকে অতর্কিতে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সে ছাত্রী। নিজেকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে দ্রুত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন সে ছাত্রী। নিজের এ দু:সহ পরিস্থিতির কথা ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কাছে প্রকাশও করেছেন তিনি। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ তাকে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে কোথায় অভিযোগ করতে হবে? কার কাছে অভিযোগ করবেন? অন্য শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করলে তারা যদি তাকে খারাপ মনে করে? ইত্যাদি বিষয় ভাবতে-ভাবতে সপ্তাহ গড়িয়ে যায়। তাছাড়া ঘটনাটি প্রকাশ না করতে পরিবাররে দিক থেকে তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এর কারণ হচ্ছে তথাকথিত মানসম্মানের ভয়। আকলিমার মতো এ রকম আরো অনেকে আছেন, যারা কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হলেও নীরবে সেটি সহ্য করে যান। অভিযোগ নিয়ে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে সেটি তারা বুঝে উঠতে পারেন না। যৌন হয়রানির প্রতিকার কর্মস্থলে যৌন হয়রানীর প্রতিকার পাবার জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিল। সেখানে বলা আছে, কোন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত এবং প্রতিকার পাবার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের প্রায় ৬৫ শতাংশ হাইকোর্টের এই নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশন এইড পরিচালিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও প্রায় ৮০ শতাংশ এ বিষয়টি নিয়ে অবগত নয়। আইনজীবী সারা হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে একটি কমিটি থাকার কথা, সেখানে নারী সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। সে কমিটির যে কোন সদস্যের কাছে অভিযোগ করা যাবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে যিনি অভিযোগ করছেন এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে - উভয়ের নাম গোপন রাখতে হবে। কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবে। "যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি যদি মনে করেন যে বিষয়টা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়, তাহলে সেটা করা সম্ভব। যদি তিনি মনে করেন যে এটা সম্ভব না, এটা গুরুতর বিষয় তাহলে কমিটি পুরো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার সুপারিশ করবে," বলছিলেন সারা হোসেন। এরপর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা নিতে পারবে। এটা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কেউ যদি মনে করে যে তিনি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাননি তাহলে সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কোন পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। সারা হোসেন বলেন, এর বাইরে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে ভিকটিম পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। তিনি বলেন, নারীদের উপর হয়রানির বিষয়গুলো অনেক প্রতিষ্ঠান সিরিয়াসলি না নেওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। অভিযোগ দায়েরে অনাগ্রহ বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত তদন্ত সেল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য় অন্যতম। জোবাইদা নাসরিন এই যৌন নিপীড়ন সেলের একজন সদস্য অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, যৌন নিপীড়ন সেলের সামনে নানা ধরণের অভিযোগ আসে। তিনি বলেন, অনেকে তার কাছে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। কিন্তু তাদের অনেকে অভিযোগ লিখিত আকারে উত্থাপন করতে চায়না বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক নাসরীন। তিনি বলেন, "অনেকে মনে করে যে অভিযোগ উত্থাপন করলে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিংবা পরবর্তীতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে। তাছাড়া অনেকের পরিবারও চায়না যে বিষয়গুলো প্রকাশ হোক।" নারীরা এসব বিষয় চিন্তা করে সবসময় অভিযোগ দায়ের করতে চায়না বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক নাসরীন। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অনেক সময় বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সে বাধ্যতামূলক ছুটিকে শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধ্যাপক নাসরীন বলেন, বাধ্যতামূলক ছুটি কোন শাস্তি হতে পারেনা। অ্যাকশন এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, একজন কর্মজীবী নারীকে তার প্রতিষ্ঠানের নীতি সম্পর্কে জানতে হবে। যৌন হয়রানী সংক্রান্ত অভিযোগ আসলে সেগুলো কোথায় এবং কিভাবে উত্থাপন করতে হবে, সে বিষয়টি প্রত্যেকটি নারী কর্মীকে তার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। ফারাহ কবির বলেন, যৌন হয়রানির শিকার হলে নারীদের অবশ্যই অভিযোগ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তিন বলেন, অভিযোগ দায়ের না করলে অপরাধীরা অনায়াসে পার পেয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আবারো অন্যজনের সাথে একই অপরাধ করবে। | একজন নারীর নাম ধরুন আকলিমা আক্তার। এটি অবশ্যই তার ছদ্মনাম। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর মহাসাগরগুলো ভাইরাস বা জীবাণুতে পরিপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে সাগরের ৪ হাজার মিটার বা ১২ হাজার ফুট গভীরেও জীবাণুর সন্ধান মিলেছে। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু - সর্বত্রই এসব জীবাণুর উপস্থিতি বিরাজমান। তবে এসব জীবাণুর বেশিরভাগই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। এগুলো মূলত সামুদ্রিক প্রাণের জন্য ক্ষতিকারক। তিমি থেকে শুরু করে সমুদ্রের অন্যান্য প্রাণী বিশেষ করে ক্রাস্টিসিন বা খোলযুক্ত প্রাণী যেমন কাঁকড়া, লবস্টার, চিংড়ি ও শামুক জাতীয় প্রাণীরা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। অতি ক্ষুদ্র এসব জীবাণু সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবনে এবং সাগরের রসায়নে কীভাবে ভূমিকা রাখে সেই বিষয়টিই গবেষকরা জানার চেষ্টা করছেন। সারা পৃথিবীর ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে সাগরের পানির নমুনা সংগ্রহ করে বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সামুদ্রিক জীবাণুর সামগ্রিক চিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। নতুন এই গবেষণা থেকে জীবাণুর যে খতিয়ান বিজ্ঞানীরা বের করেছেন - তা আগের হিসেবের চেয়ে প্রায় ১২গুণ বেশি। তবে গবেষণার একটি তথ্য থেকে গবেষকেরা সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছেন। আর সেটি হচ্ছে, যতরকমের জীবাণু পাওয়া গেছে সেগুলোর প্রাপ্তিস্থান ও পানির গভীরতা অনুযায়ী সকল জীবাণুকে মাত্র ৫টি ভাগেই ভাগ করা যায়। এই গবেষণার অন্যতম গবেষক এন গ্রেগরি বলেছেন, "জীবাণুগুলোর জিন পরীক্ষা করার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সাগরের বিভিন্ন অংশের জীবাণুর মধ্যে জিনগত অভিযোজন ঘটেছে।" সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে সাগরের ৪ হাজার মিটার বা ১২ হাজার ফুট গভীরেও জীবাণুর সন্ধান মিলেছে। আরো পড়তে পারেন: যেসব খাবারের মাধ্যমে দেহে ঢুকছে অ্যান্টিবায়োটিক আইসিইউ-তে মৃত ৮০ শতাংশ রোগীর শরীরে সুপারবাগ কুকুরের পশমের চেয়ে মানুষের দাড়িতে বেশি জীবাণু লাশের পেটে পাওয়া গেল ১১ প্যাকেট ইয়াবা মি. গ্রেগরির মতে এই গবেষণার দ্বিতীয় বিস্ময়টি হচ্ছে, আর্কটিক সমুদ্রে প্রচুর মাত্রায় জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া। পৃথিবীর মহাসাগরগুলো ভাইরাস বা জীবাণুতে পরিপূর্ণ। কিন্তু সাগরের প্রাণীদের স্বাস্থ্য এবং সাগরের সামগ্রিক রসায়নে এই জীবাণু কীভাবে প্রভাব ফেলে - তা নিয়ে খুব অল্পই জানা গেছে। পূর্বের যেসব আবিষ্কার ছিল তার মধ্যে এক ধরণের সামুদ্রিক জীবাণুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল যেটি সবুজ শ্যাওলাকে সংক্রমণ করতে পারে। মাত্র এক লিটার পরিমাণ সামুদ্রিক পানিতেও লাখ-লাখ জীবাণু থাকে। তবে, এসবের বেশিরভাগ জীবাণুই এখনো সনাক্ত করা হয়নি। আর সর্বশেষ তথ্য বলছে, সাগরে ৯০ শতাংশ প্রাণীকেই এখনো শ্রেণীভুক্ত করা যায়নি। তাই, সাগরের জীবাণু নিয়ে আরো গভীরভাবে জানাটা প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: শ্রীলঙ্কায় সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানায় ১৫টি মৃতদেহ 'আমরা ভাবিনি এই লোকটা আমাদের মারতে এসেছে' লাশের পেটে পাওয়া গেল ১১ প্যাকেট ইয়াবা প্রচন্ড গরমে পেটের অসুখ থেকে বাঁচতে 'ফাইভ এফ' | সমুদ্রে প্রায় দুই লাখ বিভিন্ন জাতের জীবাণু পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকার রামপুরায় বাগিচারটেক এলাকায় একটি খালি প্লটে মাটি চাপা দেয়া কুকুরগুলোর মৃতদেহ তুলছে পুলিশ বাংলাদেশে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠূর আচরণের জন্য কারো বিচার বা শাস্তির এটা তৃতীয় ঘটনা। গত বছর ২৫শে অক্টোবর রাতে রাজধানী ঢাকার রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় মোহাম্মদ সিদ্দিক নামে একজন নাইট গার্ড এবং অপর এক ব্যক্তি মিলে কুকুরগুলিকে মাটিতে পুঁতে হত্যার ওই ঘটনা ঘটায় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। পরে পিপল ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার বা প' নামে একটি প্রাণী কল্যাণ সংগঠন এ নিয়ে মামলা দায়ের করে। এঘটনার তদন্তের সময় পুলিশ বাগিচারটেকের একটি খালি প্লটের মাটি খুঁড়ে দুটি মাদী কুকুর ও ১৪টি বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত মোহাম্মদ সিদ্দিককে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এসময় আসামী নিজে উপস্থিত না থাকলেও তার পক্ষে একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। প'-এর চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা মনে করছেন এ রায়ের ফলে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা তৈরি হবে, তাদের প্রতি সদয় আচরণ করতে মানুষ উৎসাহিত হবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ায় তীব্র আকার নিয়েছে 'ইসরায়েল-ইরান' যুদ্ধ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের যে সাতটি তথ্য না জানলেই নয় বাংলাদেশে কেন এত বেশি বজ্রপাত হয়? মালয়েশিয়া নির্বাচন: মাহাথিরের জয়ের রহস্য তিনি বলেন, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার ঘটনা বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটে এবং মানুষ এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তার কথায়, বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক কারণে এবং 'কুকুরে কামড়ালেই জলাতংক হবে' এমন ধারণা থেকে কুকুরের প্রতি লোকে সহিংস আচরণ করে। রাকিবুল হক এমিল বলেন, বিভিন্ন দেশে গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের বহু সহিংস আচরণের সূচনা প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা থেকেই হয়। মি. হক বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিশুদের স্তর থেকে শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের জন্য ১৯২০ সালের একটি আইন রয়েছে, তবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মন্ত্রীসভা প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৫ নামে একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। মি. হক বলেন, এর আগে ২০১৪ সালে এবং ২০১৫ সালে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠূরতার দুটি পৃথক ঘটনায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। তবে এরকম অপরাধে কারাদন্ডের ঘটনা এই প্রথম। | বাংলাদেশে দুটি কুকুর এবং ১৪টি কুকুরছানাকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে হত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সৌদি আরবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মি: ট্রাম্প বলেছেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তাঁর। কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ অন্যান্য জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে কাতার উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, এই অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার ও মালদ্বীপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার 'জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে'। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরটি ছিল খুব্ গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের রিয়াদ সফরের সময় মি: ট্রাম্প তাঁর এক ভাষণে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তকে দেখা হচ্ছে গাল্ফ অঞ্চলের দেশগুলো, যারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাদের সাথে কাতারের সম্পর্কচ্ছেদ হিসেবে। এর সাথে গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর সাথে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার একটি প্রভাব রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর টুইটারে লেখেন "মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন"। এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, "সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা"। আরো পড়ুন: কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? কাতার সংকট: কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার? আঞ্চলিক রাজনীতিই এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে | কাতারের সঙ্গে যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন মি: ট্রাম্প নিজেই। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | 'সাইকেল যতদিন ধরে চালাই আমি যানজট কি ভুলে গেছি' - একজন সাইকেল চালকের মন্তব্য। বিশৃঙ্খলা আর শব্দ দূষণে জর্জরিত ঢাকা শহরে ইদানীং প্রায়শই দেখা যায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে দিয়েই সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন বাইসাইকেল চালক। সেরকম একজন ঢাকার রমিত রহমান। নিয়মিত ঢাকার শঙ্কর থেকে মহাখালীতে অফিসে আসেন বাইসাইকেল চালিয়ে। মি. রহমান বলছিলেন, ঢাকার ভয়াবহ যানজটকে তিনি এখন নিয়মিত টেক্কা দিচ্ছেন। "সাইকেল চালালে যে সুবিধাটা হয় বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাকে আর গাড়ির জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। তারপর যানজটে বসে থাকতে হয় না। সাইকেল যতদিন ধরে চালাই আমি যানজট কি ভুলে গেছি। দু'একবার বাসে চড়ে দেখেছি তখন মনে হয় এতক্ষণ ধরে রাস্তায় কেন বসে আছি!" বাংলাদেশে একটা সময় ছিল যখন ছেলেরা একটু বড় হলেই বাইসাইকেল কিনে দেয়া হতো। পাড়ার অন্য আরো অনেকে মিলে স্কুল, কলেজে ক্লাস বা প্রাইভেট পড়তে যাওয়া অথবা ঘুরে বেড়ানো সবই চলতো বাইসাইকেলে চড়ে। ঢাকায় বেশ কিছুদিন হল নতুন করে অনেকেই দু'চাকার পরিবেশ-বান্ধব এই বাহনটি বেছে নিচ্ছেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফ বিন সাত্তার বলছেন, শুধু যানজট থেকে মুক্তি নয়, বাইসাইকেল একটা দারুণ শরীর চর্চার মাধ্যমও বটে। তিনি বলছেন, "নিয়মিত সাইকেলে চড়ে ক্লাস করি তাই সময়মত চলে আসতে পারি। সেই সাথে এটি চালালে এক্সারসাইজ হয়। নিজেকে অ্যাকটিভ রাখা যায়। আমরা জানি যে ব্যায়াম করলে হ্যাপি হরমোন রিলিজ হয়। তাই মনও ভালো থাকে।" মেয়েদের নিয়ে গ্রুপ করে সাইকেল চালান দেবযানী মোদক। আরো পড়তে পারেন: ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন খেলে কী হয় 'কারাগারকে নিরাপদ ভাবছে মাদক মামলার আসামীরা' সুপারফুড: আসছে তেলাপোকার দুধ রোজার সময় ঋতুস্রাব নিয়ে নারীদের লুকোচুরি গত কয়েক বছর হল ঢাকায় মূলত আরাফ এর মতো তরুণ প্রজন্মের ছেলে ও মেয়েরা সাইক্লিস্টদের বেশ কিছু গ্রুপও তৈরি করেছেন। যারা প্রতিদিন অফিসে যেতে সাইকেল ব্যবহার করছেন বা সাপ্তাহিক ছুটিতে নিয়মিত মিলিত হচ্ছেন। বড় কোন দিবস হলেই র্যালি করেন তারা। মেয়েদের নিয়ে গ্রুপ করে সাইকেল চালান দেবযানী মোদক। তিনি বলছিলেন, ছোট বেলায় তিনি খেলার জন্য পুতুল নয় সাইকেল চেয়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, "আমি নিজেই একা একা সাইকেল চালানো শিখেছি। কিন্তু যেহেতু ঢাকায় এখন সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামলে এটা সেটা শুনতে হয়, আর মেয়েদের সাইকেল চালানো দেখতে এখনো অভ্যস্ত নয় মানুষজন তাই নিরাপত্তার চিন্তাটা কিছুটা মাথায় চলে আসে।" "তাই আমার যেহেতু নেটওয়ার্কিং ছিল, আমি শক্তি নেটওয়ার্ক নামের একটা গ্রুপের সদস্য। সেখানে মেয়েরা মিলে আমরা একসাথে নিয়মিত সাইকেল চালাই। মাঝে মাঝে অফিসেও চলে আসি।" দেবযানী মোদক বলছেন, তারা দল করে নারায়ণগঞ্জের পানাম নগরী, সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কেরানীগঞ্জ পর্যন্তও গেছেন। কিন্তু ঢাকায় যারা থাকেন তাদের রোজকার অভিজ্ঞতা - চরম বিশৃঙ্খল একটি শহর ঢাকা। ট্রাফিক বিভাগের হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় এই শহরে রোজই প্রাণ হারান একাধিক পথচারী। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানোর ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। এমন শহরে বাইসাইকেল ততটা নিরাপদ নয় বলে বলছেন রমিত রহমান। তিনি বলছেন, সাইকেলের জন্যে আলাদা একটা লেন বজায় রাখতে পারলে নিরাপদ থাকা যেত। "কিন্তু ঢাকায় গাড়িতো বাদই দিলাম মানুষজনও সাইকেলকে যানবাহন বলে মনে করে না। কেউ এই বাহনকে সম্মান করে না। চালকরা লেন বদলাতে গিয়ে রীতিমতো গায়ে উঠে যায়।" -বলছেন রমিত রহমান। কর্তৃপক্ষ বলছে, সবাই মিলে কাজ করলে ঢাকা শহরকেও সাইকেলের জন্যে উপযোগী করে তোলা সম্ভব। বিশ্বের অনেক দেশেই পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বাহন হওয়ার কারণে বাইসাইকেলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর জন্য রাস্তায় আলাদা লেন করা আছে। ইউরোপের অনেক দেশে বাড়িতে গাড়ি রেখে সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করছেন মানুষজন। কিন্তু ঢাকার মতো শহরে তেমন নিরাপদ পরিবেশ কি তৈরি করা সম্ভব? ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলছেন, "আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা সাইকেল লেন করার উদ্যোগ নিয়েছি।" "টিএসসি থেকে নীলক্ষেত তারপর বুয়েট হয়ে শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে আবার টিএসসি। কিন্তু ঢাকায় এটা করা খুবই চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে সবাই মিলে কাজ করলে এটা করা সম্ভব।" তবে সেজন্য বসে নেই সাইকেলপ্রেমীরা। তারা মাথায় হেলমেট পরে নামছেন রাস্তায়। এমনকি হাঁটু বা কনুইয়ে লাগিয়ে নিচ্ছেন আঘাত থেকে বাঁচার আনুষঙ্গিক উপকরণ 'নি প্যাড' বা 'এলবো প্যাড'। ঢাকায় দোকানও গড়ে উঠেছে অনেক। আর বেশ কিছুদিন হল বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের বাইসাইকেল রপ্তানিও হচ্ছে বিদেশে। | বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় ইদানীং নজরে পড়ছে অনেক বাইসাইকেল। মূলত তরুণ প্রজন্মের ছেলে ও মেয়েরা বেশ কিছু গ্রুপ তৈরি করেছেন যারা সাপ্তাহিক ছুটিতে শুধু সাইকেল নিয়ে ঘুরতে যান তা নয় এমনকি এখন অনেকে প্রতিদিন অফিসে যেতেও সাইকেল ব্যবহার করছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির গায়েবি জানাজায় তার ছবি নিয়ে অনেকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা । 'আরব বসন্ত' নামে খ্যাত সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই তাকে মিসরের সেনাবাহিনী উৎখাত করে। কয়েকদিনের সেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মিসরের অবস্থাকে বলা হয় ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আরব বসন্তের মুখেই পদত্যাগ করেছিলেন হোসনি মোবারক। ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনী মি. মোরসিকে সংকট সমাধানে আল্টিমেটাম দিলে, মোরসি তা মানতে অস্বীকার করেন। এরপর সামরিক বাহিনী এক অভ্যুথ্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে। খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন মোরসি উৎখাতের চার মাস পরে, মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের আরো ১৪জন ঊর্ধ্বতন নেতার সঙ্গে মোহাম্মদ মোরসির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরো পড়তে পারেন: সিসি'র সাক্ষাৎকার প্রচারে কেন বাধা দিচ্ছে মিসর? মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা একজন সাংবাদিক ও দুইজন সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ আনা হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বেআইনিভাবে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় মোরসির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কায়রোর ইত্তিহাদিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের বাইরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঐ গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। শুনানির প্রথম দিনে মিঃ মোরসি কাঠগড়া থেকে চিৎকার করে বলেছিলেন, তিনি সেনা অভ্যুত্থানের শিকার এবং তার বিচার করার বৈধতা এ আদালতের নেই। ফাত্তাহ আল-সিসি মোরসিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন পরে হত্যার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও দমনের অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে মোরসির বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আনা হয়, এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যদিও পরে সে রায় বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৭ই জুন মৃত্যুর সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার বিচার চলছিল। ইসলামপন্থী সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোরসি ১৯৫১ সালে মিশরের শারকিয়া প্রদেশের আল-আদওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ এর দশকে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন, এরপর পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। মিশরে ফিরে এসে তিনি জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হন। আদালতে হাজিরা দেবার সময় মোরসি এক সময় মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনে যোগ দেন তিনি এবং ক্রমে নেতৃত্বে আসেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এই আন্দোলনের হয়ে দেশটির সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য ছিলেন। সংসদ সদস্য হিসেবে ভালো বক্তা বলে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন অনেকবার, বিশেষ করে ২০০২ সালে এক রেল দুর্ঘটনার পর কর্মকর্তাদের নিন্দা করে তার দেয়া বক্তব্য খুবই আলোচিত হয়েছিল। ২০১২ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুডের ডেপুটি জেনারেল গাইড, মিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী খাইরাত আল-সাতেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়। এরপর মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে মোরসিকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মোহাম্মদ মোরসি নির্বাচনী প্রচারণায় মোরসি নিজেকে হোসনি মোবারকের সমর্থকদের পুনরুথ্থানের বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকর বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করেন। গণবিক্ষোভ নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জিতে ২০১২ সালের জুনে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মোহাম্মদ মোরসি। 'সব মিশরীয়' মানুষের রাষ্ট্রপ্রধান হবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সমালোচকদের অভিযোগ, পরবর্তীতে সে প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামপন্থীদের একচ্ছত্র আধিপত্যের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মোরসি এবং মনে হচ্ছিলো যেন মুসলিম ব্রাদারহুডই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন, এবং বেকারত্ব ছিল প্রকট। এসব অভিযোগে কিছুদিনের মধ্যেই অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে শুরু হয় ব্যাপক গণবিক্ষোভ। ২০১৩ সালে কায়রোতে বিক্ষোভের সময় নিহত হন শত শত মানুষ ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে জনরোষের প্রকাশ ঘটতে থাকে। এই সময়ে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হচ্ছিল, এবং নিজের ক্ষমতা সুদূরপ্রসারী করার চেষ্টায় মোরসি একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। বিক্ষোভ চলার মধ্যেই, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নতুন সংবিধানের উপর একটি গণভোটের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতা দিয়ে মোরসি আরেকটি ডিক্রি জারি করেন। সমালোচকেরা মনে করেন ওই ডিক্রি কার্যত দেশটিতে এক ধরণের সামরিক আইন জারি করার পরিস্থিতি তৈরি করে। মিশরের আদালতে খাঁচার মধ্যে ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীরা এরপরই তার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। মোরসির ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে যেদিন আনন্দ মিছিলের কর্মসূচী দেয়, সেই দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ গণবিক্ষোভে যোগ দেয়। সেনা অভ্যুত্থান মোরসিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনগণের দাবি মানার সময় বেঁধে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। ৩রা জুলাই সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী সংবিধান স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ঐ সরকার দায়িত্ব পালন করবে বলে বলা হয়। সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে 'অভ্যুত্থান' বলে নিন্দা জানান মোরসি। আরো পড়তে পারেন: ক্রিকেট তারকা, বিশ্লেষকদের চোখে বাংলাদেশের জয় মিশরের স্কুল থেকে মিকি মাউস কেন বাদ দেয়া হচ্ছে হোসনি মোবারককে উৎখাতের পর নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন মোরসি সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি মোরসিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ তার কোন খোঁজ ছিল না। এরপর মোরসির মুক্তি এবং তাকে অবিলম্বে ক্ষমতায় পুনরায় অধিষ্ঠিত করার দাবিতে কায়রোর রাস্তায় নেমে আসেন তার দলের সমর্থকেরা। জবাবে দুটি বিক্ষোভ শিবির ভেঙ্গে দেয় এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাস দমনের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানে মিশরে প্রায় এক হাজার মানুষ মারা যায় সেসময়। মোরসির উৎখাতের পর দেশটিতে ইসলামপন্থীদের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পায়, এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের ওপর চালানো হয় ব্যাপক নিপীড়ন, এবং ফল হিসেবে হাজার হাজার ব্রাদারহুড কর্মী গ্রেফতার বা নিহত হন। অনেকে কাতার এবং তুরস্কে পালিয়ে যান। এরপর মোরসি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান, মাঝেমধ্যে মামলার হাজিরা দিতে তাকে আদালতে আনা হলেই কেবল তাকে দেখা যেত। | মোহাম্মদ মোরসি ছিলেন মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। সামরিক বাহিনী তাকে উৎখাতের আগে মাত্র এক বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | জামাল খাসোগজিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটের ভেতরে খুন করা হয়। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাল খাসোগজি খুন হন। আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দুজন যারা একসময় সৌদি আরবের ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শীর্ষ সহকারী ছিলেন। মি. খাসোগজি সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচকদের একজন ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি সরকারও আলাদা একটি বিচারকার্য চালিয়েছে, অসম্পূর্ণ বলে যার প্রবল সমালোচনা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা প্রিন্স সালমানের ভাবমূর্তিকে সম্পূর্ণভাবে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রিন্স মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইস্তাম্বুলের এই মামলায় তুর্কী সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করছেন সৌদি গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান এবং রাজদরবারের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহ্তানি মি. খাসোগজির হত্যার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং একটি সৌদি খুনি দলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলার বাকি ১৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে এরা শ্বাসরোধ করে মি. খাসোগজিকে হত্যা করেছে। সৌদি সাংবাদিকের মরদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুর্কী কর্মকর্তারা বলছেন, তার দেহটিকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয় এবং অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। জামাল খাসোগজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় কাজ করতেন। আসন্ন বিয়ের কাগজপত্র জোগাড়ের জন্য তিনি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে মি. খাসোগজিকে ইস্তাম্বুলের এই সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়। সম্পর্কিত খবর: খাসোগজির হত্যাকারীদের ক্ষমা করেছে পরিবার, ক্ষিপ্ত প্রেমিকা জামাল খাসোগজিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল খাসোগজিকে 'কোরবানির পশু' বলে বর্ণনা করেছিল এক ঘাতক ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিচ্ছে, মি. খাসোগজির বাগদত্তা হাতিস চেংগিস এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার অ্যাগনেস কালামার্ড বিচার চলার সময় উপস্থিত রয়েছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমদিকে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল। পরে তারা স্বীকার করে যে এটা একদল সৌদি দুর্বৃত্তের কাজ। মি. খাসোগজির হত্যার ওপর সৌদি আরবে যে বিচার হয়েছে, তাতে আদালত গত ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং তিনজনের জেল হয়েছে। কিন্তু ঐ বিচারকার্য হয়েছে গোপনে এবং আসামীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং কিছু পশ্চিমা দেশ বিশ্বাস করে যে যুবরাজ সালমানই মি. খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। | সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যা মামলায় তুরস্কে ২০ জন সৌদি নাগরিকের বিচার তাদের অনুপস্থিতিতে শুরু হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশ ১৯৭১ ৪৫ বছর পরও কেন ''মুক্তিযুদ্ধ'' এদেশের রাজনীতিতে একটা বড় ইস্যু? এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন এই মুক্তিযুদ্ধ। "স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ সবসময়ই আমাদের প্রেরণার উৎস। এটা অনন্তকাল ধরে চলবে," বলেন তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সাধারণ জনগণ। কিন্তু অভিযোগ আছে, কোটি মানুষের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধে অর্জনের কৃতিত্বটা পুরোটাই দাবি ক'রে, এর মাধ্যমে একটা রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায় আওয়ামী লীগ। যদিও এই দাবি যৌক্তিক বলেই মনে করে দলটি। "আওয়ামী লীগই তো এই স্বাধীনতার চেতনা এবং মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করে সারা বাংলাদেশের মানুষকে আজ ঐক্যবদ্ধ করেছে। সুতরাং যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারা তো স্বাধীনতার মর্যাদা বুঝবে না বা বোঝে না। সেই কারণেই তারা আওয়ামী লীগকে এইরকম দায়ী করে," মন্তব্য তোফায়েল আহমেদের। বিএনপির নেতা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মতে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কটি রাজনীতিরই মারপ্যাঁচের অংশ। "যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা জনগণের কাছে ঘৃণার পাত্র। সুতরাং এই দুই দলেরই চেষ্টা থাকে প্রতিপক্ষকে ঘৃণার দলে ফেলে দেবার জন্যে। তারাও বলে যে আমাদের নেতা মুক্তিযোদ্ধা না। তিনি আইএসআই'র এজেন্ট ছিলেন। আমরাও বলি তোমরা তো পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছ, স্বাধীনতার ঘোষণা তো তোমরা দাও নাই।" তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিভক্তির একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা হয় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দলটির বিতর্কিত ভূমিকার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে উঠে এসেছে স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তি নিয়ে বিতর্ক। তোফায়েল আহমেদ বলেন, "বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তিনিই তো সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে মুজাহিদকে মন্ত্রী করেছেন, নিজামীকে মন্ত্রী করেছেন। তার মানে কী? তার মানে, আপনি কি তাদেরকে বলতে পারেন তারা স্বাধীনতার পক্ষে? আজ পর্যন্ত তারা জামায়াতকে ত্যাগ করতে পারে নাই।" অন্যদিকে, বিএনপির নেতা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের যুক্তি জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল, বিএনপি আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল। "ক্ষমতায় যাবার জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে, বিএনপিও জামায়াতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। সুতরাং এটি যদি দোষের হয় তাহলে উভয় দলই সমভাবে দোষী। এটি একটি নির্বাচনী মৈত্রী, এটি আদর্শিক কোনো জোট নয়"। কে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি কে বিপক্ষের এ নিয়ে ৪৫ বছর ধরে চলছে বিতর্ক মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে রাজনীতিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে গবেষক আফসান চৌধুরী বলেন স্বাধীনতার ঘোষক কে তা নিয়ে বিতর্ক ইতিহাসের গবেষকদের আশ্চর্য করে। "যেটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং ১৯৭৫ সালের পরে যে বিতর্কটা সবল হয়েছে সেটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের কে ঘোষক? এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি হতে পারে এটা আমার কাছে একজন ইতিহাসের গবেষক হিসেবে আশ্চর্য লাগে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধ তো কোনো দিন-ক্ষণ-সন দেখে মানুষ করে না। এটাতো একটা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেষ পর্যায়। বস্তুতপক্ষে শুধু জাতীয়তাবাদীও নয়, এটা শ্রেণীর আন্দোলন, সমাজের আন্দোলন, জনগোষ্ঠীর আন্দোলন।" মি. চৌধুরীর মতে, স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অস্বস্তি কিংবা বিতর্ক দেশের সব জনগোষ্ঠীর সমস্যা নয়, এটি কেবল স্বল্পসংখ্যক রাজনীতিবিদের সমস্যা। তিনি বলেন দলগুলোর মধ্যে এমন কোনো মৌলিক অর্থনৈতিক, সামাজিক-রাজনৈতিক পার্থক্য নেই। ''যে পার্থক্যটা তারা টানতে পারে সেটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগতো স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান দল, অতএব সেই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। আর অন্যদিকে যেটা হলো, বিএনপি পঁচাত্তর সালের পরে জামায়াত ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছে। এটাতো একটা মৌলিক বিভাজন। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জন্মের সূত্র, এর তো অন্য কোনো বিকল্প নাই, এটা তো আমাদের জন্মের ইতিহাস।" | মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নানা পরিবর্তন এলেও দেশটির রাজনীতি এখনো আবর্তিত হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। ১৯৭১ সালে কার কী ভূমিকা ছিল, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি কারা এরকম ইস্যুতে প্রধান রাজনৈতিকদলগুলো এখনও পরস্পর বিতর্কে জড়াচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | গবেষকরা বলছেন সেরানা শহরের ৭৫% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে টিকা দেবার পর ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে তারা সফল হয়েছেন সেরানা শহরে বাসিন্দার সংখ্যা ৪৫০০০, যাদের চীনে তৈরি করোনাভ্যাক টিকা দেয়া হয়েছে। গবেষক দলটি বলছে, করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি কমে যাওয়ার কারণে যাদের টিকা হয়নি, তারাও সুরক্ষার আওতায় চলে এসেছে। এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, জনগোষ্ঠীর শতকরা ৭৫ ভাগকে পুরো ডোজ টিকা দিতে পারলে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। করোনা মহামারি ব্রাজিলে এক বিপর্যয়কর রূপ নিয়েছে। দেশটিতে এপর্যন্ত কোভিড-১৯এ মারা গেছে প্রায় চার লাখ ৬৩,০০০ মানুষ। যথেষ্ট টিকার ডোজ না থাকায় ব্রাজিল টিকাদান কর্মসূচি চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, টিকাদান চলছে খুবই ধীরগতিতে। দৈনন্দিন মৃত্যুর সংখ্যা এবং শনাক্তের গড় হারও খুবই বেশি। সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে সংক্রমণ কমানোর প্রচেষ্টাও সফল হচ্ছে না। আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের দক্ষিণ পূর্বের শহর সেরানাতে এই পরীক্ষা চালানো হয় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে। পরীক্ষা চালায় ইনস্টিটিউটো বুতানতান, যারা চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি উদ্ভাবিত টিকা করোনাভ্যাক তৈরি করছে ব্রাজিলে। কীভাবে চালানো হয় পরীক্ষা? শহরের বাসিন্দাদের ভাগ করা হয় চারটি এলাকার ভিত্তিতে। করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি বা জীবাণুর পরিমাণ কোন্ এলাকায় কমছে সেটা নির্ধারণ করতে এই এলাকা ভাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গবেষক দলটি বলছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭৫%কে দুই ডোজ টিকা দেবার পর তিনটি এলাকায় করোনার উপস্থিতি ব্যাপক মাত্রায় কমে গেছে বলে তারা দেখতে পান। যখন প্রাপ্তবয়স্কদের ৯৫ শতাংশকে পুরো ডোজ টিকা দেয়া হয়ে যায়, তখন যে ফলাফল দেখা যায়: বুতানতান সংস্থার গবেষণা পরিচালক রিকার্ডো পালাসিও বলেছেন, এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাটা হল ৭৫%। ''গবেষণার ফলাফল থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা বেরিয়ে এসেছে সেটা হল গোটা জনগোষ্ঠীকে টিকা না দিয়েও মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব,'' তিনি বলেন। মি. পালাসিও আরও বলেন, শিশু এবং কিশোরদের মধ্যেও সংক্রমণের হার কমেছে। তাদের টিকা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এর থেকে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে যে স্কুল আবার খোলার জন্য শিশুদের টিকা দেবার প্রয়োজন নেই। ব্রাজিলে করোনা হয়ে কেন এত শিশু মারা যাচ্ছে? মি. পালাসিও বলছেন, করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে পি.১ নামে পরিচিত ছিল, যার এখন নতুন পরিচয় গামা নামে, সেই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এই টিকা কার্যকর। ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলে অ্যামাজন নদীর তীরের মানাউস শহরে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় এবং তখন থেকে ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত হয়ে ওঠা কোভিডের এই ধরনটিকেই দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ার জন্য দায়ী করা হয়। সেরানা সাও পাওলো থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দূরে এবং এর চারপাশের শহরগুলো উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সেরানা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে রিবেইরাও প্রেতো নামে এক শহরে লকডাউন জারি হয়েছে, যে শহরের জনসংখ্যা সাত লাখ ১০ হাজার। চীনা ভ্যাকসিন এই পরীক্ষার ফলাফল চীনা টিকা করোনাভ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের আস্থা বাড়াবে। কয়েক ডজন উন্নয়নশীল দেশ চীনের এই টিকা ব্যবহার করছে। এ বছর ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্কে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কার্যকারিতার হার ৫০% থেকে ৯০%এর মাঝামাঝি আসায় এই টিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়। আরও পড়ুন: সেরানা শহরে চীনা টিকার এই পরীক্ষা চালায় বুতানতান ইনস্টিটিউট করোনাভ্যাক একটি নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন। এই ধরনের টিকায় মৃত ভাইরাসের কণা শরীরে প্রবেশ করানো হয় যাতে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা এই ভাইরাসকে চিনে রাখে, কিন্তু এই ভাইরাস থেকে যিনি টিকা নিচ্ছেন তার ওই রোগে গুরুতরভাবে সংক্রমিত হবার আশংকা থাকে না। সেরানাতে চালানো এই পরীক্ষা পৃথিবীর আরও কোন দেশে হয়নি। এটাই প্রথম এধরনের পরীক্ষা বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই ভ্যাকসিন থেকে গুরুতর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি এবং টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেবার ১৪ দিন পর পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে কোভিড-জনিত কোন রোগে কারও মৃত্যু হয়নি, বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। এখন ব্রাজিলের আরেকটি শহর বতুসাতুতে একই ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ওই শহরের জনসংখ্যা এক লাখ ৪৮ হাজার। গবেষকরা সেখানে ব্যবহার করছেন অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রজেনেকার ভ্যাকসিন, যেটি ব্রাজিলে উৎপাদন করছে স্থানীয় কোম্পানি ফিয়োক্রুজ ইনস্টিটিউট। আমেরিকার পর বিশ্বে কোভিডে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ব্রাজিলে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যার হিসাবেও ব্রাজিল বিশ্বে তিন নম্বরে। সেখানে করোনা শনাক্তর সংখ্যা এক কোটি ৬৫ লক্ষ। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারো এই মহামারি মোকাবেলা কীভাবে করেছেন এবং দেশটিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচির ধীর গতি নিয়ে ব্রাজিলের সেনেট একটি তদন্ত চালাচ্ছে। বিবিসি বাংলার আরও খবর: নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান, ইসরায়েলে গঠিত হচ্ছে নতুন সরকার মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু'র বিরল ভাইরাসের প্রথম কেস ধরা পড়লো চীনে নানা ধরনের ফাঙ্গাস সংক্রমণে নাকাল ভারতের কোভিড রোগীরা যেভাবে গরম বাড়ছে বাংলাদেশের ৫টি বড় শহরে | গবেষকরা বলছেন, এক পরীক্ষার অংশ হিসাবে ব্রাজিলের একটি শহরের প্রায় সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পুরো ডোজ টিকা দেবার পর সেই শহরে কোভিড-১৯এ মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | উহানের জনসংখ্যা এক কোটি দশ লাখ - লন্ডনের মত শহরের জনসংখ্যার থেকেও বেশি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়ে বলেছে পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে উহানের প্রত্যেকটি এলাকাকে বলা হয়েছে কীভাবে তারা এলাকার প্রতিটি মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে পারবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে হবে। উহানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এবং গত সপ্তাহ শেষে সেখানে আবার নতুন করে ছয়জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে, তেসরা এপ্রিলের পর থেকে সেখানে কোন নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েনি। এগারো সপ্তাহ ধরে কঠোর লকডাউনে থাকার পর ৮ই এপ্রিল থেকে সেখানে লকডাউন তুলে নেওয়া শুরু হয়। কিছু সময় ধরে মনে হচ্ছিল সেখানে জীবনযাত্রা আবার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্কুল খুলেছিল, দোকানপাট ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছিল এবং গণপরিবহনও খুলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি আবাসিক ভবন এলাকা থেকে শুরু হয়ে একগুচ্ছ মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় শহরটিতে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে ওঠা এখন আবার নুতন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। 'দশ দিনের লড়াই' দ্য পেপার নামে সংবাদপত্রের এক রিপোর্টে সেখানকার অভ্যন্তরীন একটি নথিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে শহরের প্রতিটি এলাকার প্রত্যেক মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা তৈরি করে তা মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে পেশ করতে হবে। প্রত্যেক এলাকায় বাসিন্দার সংখ্যা হিসাবে নিয়ে এবং ঐ এলাকায় বর্তমানে সক্রিয়ভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে কি না তা বিবেচনায় নিয়ে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই নথিতে এই পরীক্ষা পরিকল্পনার নাম দেয়া হয়েছে 'দশ দিনের লড়াই'। এতে আরও বলা হয়েছে পরীক্ষার সময় বয়স্ক মানুষ এবং যারা গাদাগাদি করে এক আবাসস্থলে থাকে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে গ্লোবাল টাইমস নামে এক সংবাদপত্র উর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলছে গোটা শহরের প্রতিটি মানুষকে পরীক্ষা করা অসম্ভব এবং বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝংনান হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের পরিচালক পেং ঝিয়ং বলেছেন শহরের গোটা জনগোষ্ঠিকে পরীক্ষা করার বদলে স্বাস্থ্যকর্মী, যারা ঝুঁকির মুখে এবং যারা কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে তাদের লক্ষ্য করে এই পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো উচিত। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন পরিচালক বলেছেন যে উহানের জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ - অর্থাৎ ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষকে ইতোমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। এবং বাকি ৬০ থেকে ৮০ লাখ মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করার "সক্ষমতা" উহানের আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: দু'মাস পর আবার খুলেছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান করোনাভাইরাস: স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্বলতার কথা স্বীকার করলো চীন চীন এবং সেই ভাইরাস, যা সবকিছুকেই হুমকিতে ফেলছে কিছু সময় ধরে মনে হয়েছে উহানে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করেছে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবো-তে মানুষ প্রশ্ন তুলছে মাত্র দশদিনের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা সম্ভব কি না। "এত লোককে পরীক্ষা করা অসম্ভব," বলছেন এক ব্যক্তি। তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন এর জন্য খরচ হবে কত? আরেকজন বলছেন চীনের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আবার খুলে দেবার আগে উহানের এই পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো উচিত ছিল। কোন ঝুঁকি নেয়া নয় বেজিং থেকে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন উহানে এই মড়কের সূত্রপাত হয়েছিল। এই উহান যখন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এনে লকডাউন তুলল, তখন মানুষ কিছুটা স্বস্তিবোধ করেছিল যে তারাও এই ত্রাস থেকে একদিন মুক্তি পাবে। ফলে প্রথম লকডাউনে যাওয়া ওই শহরে আবার ভাইরাস ফিরে আসার খবরটা মানুষকে হতাশ করবে। চীনা সরকারের লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দেয়া। ফলে উহানে তিন দিন আগে নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ায় ১০০০ কিলোমিটার দূরে বেজিংয়ে কর্তৃপক্ষ যে নতুন করে উদ্বেগে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। এখন যে আবাসিক এলাকায় ৮৯ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধের থেকে পাঁচজন সংক্রমিত হয়েছে, আগে বলা হয়েছিল তিনি পজিটিভ নন, কিন্তু তিনি জীবাণুবাহক হতে পারেন। ঐ আবাসিক ভবনের ম্যানেজারকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন এভাবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার একটা উল্টো বিপদও আছে। এধরনের পদক্ষেপ নিলে তারা হয়ত ভবিষ্যতে সংক্রমণের খবর চেপে যাবে। সমস্যা ঢাকা না রেখে তা মোকাবেলার দিকে নজর দেয়াটা যেহেতু এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই স্টিফেন ম্যাকডোনেল মনে করেন খারাপ খবর কেউ দিলে তাকে শাস্তি দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টিও চীনা কর্তৃপক্ষকে এখন বিবেচনা করে দেখতে হবে। চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাতজন সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি গত সপ্তাহেই একটা বৈঠক করেছেন এধরনের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আগাম সতর্ক সংকেত ব্যবস্থা কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে। চীনে সোমবার মাত্র একজনের আক্রান্ত হবার খবর দেয়া হয়েছে যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে দাঁড়িয়েছে ৮২,৯১৯ এবং মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছে ৪,৬৩৩। উহান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে কয়েকশ মানুষ উপসর্গ না দেখালেও জীবাণু বহন করছে বলে তাদের ধারণা এবং তাদের ওপর তারা নজর রাখছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | চীনে উহান শহরের কর্তৃপক্ষ শহরের সমস্ত বাসিন্দা অর্থাৎ এক কোটি দশ লক্ষ মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষার পরিকল্পনা নিচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর পাসপোর্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মরক্কো এবং দক্ষিণ কোরিয়া। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভূক্ত করবে, যদি চীনের সরকারও একই ভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়। ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিরাপদ দেশের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে পরে আরো পরিবর্তন আসতে পারে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ তালিকায় আছে আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে। যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে 'এয়ার ব্রিজ' পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে, এর মানে হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকেরা ইউরোপের কোন দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়। আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি লক্ষ্য করে এই ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য, এর কারণ হচ্ছে ইউরোপের পর্যটন খাতের জন্য এই মৌসুমটি ব্যস্ততম, এ সময়ে লক্ষ লক্ষ লোক এ খাতে বিভিন্ন রকম কাজ করে। ইইউয়ের এই নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা এবং এর যোগ্যতা সম্পর্কে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজই পরের দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইইউভুক্ত রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অর্থাৎ অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের ৬৫ শতাংশের মত, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে। কিন্তু এর মধ্যে স্পেনের মত দেশ যারা নিজেদের পর্যটন শিল্প আগের মত অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু আবার কোভিড-১৯ এ ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হবার কারণে তারা পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এমন দেশও রয়েছে, যারা এখনো দ্বিধান্বিত। কিন্তু এ তালিকায় গ্রীস এবং পর্তুগালের মত দেশও রয়েছে এই তালিকায় যারা মূলত পর্যটনের আয়ে চলে, কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে ভীত নয়। সারা পৃথিবীতে যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসায় থেকে নানাভাবে উপশমের চেষ্টা করছেন। | পয়লা জুলাই থেকে ইউরোপে ১৪টি 'নিরাপদ' রাষ্ট্রের নাগরিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ তালিকা থেকে বাদ গেছেন মার্কিন, ব্রাজিল আর চীনের নাগরিকেরা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন এই পর্যায়ে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য ফ্রন্টের মুখপাত্র মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেছেন, ''সাত দফার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন- এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা প্রস্তাব করেছি, আমরা এ বিষয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই।'' ''ওনারা বলেছেন তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তারা বলেছেন, এর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। আমরা মনে করি প্রয়োজনে তফসিল পুনরায় ঘোষণা করা যেতে পারে।'' তিনি বলেন। এদিকে, সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্ট আলোচনার জন্য আরো সময় চায়। সংলাপের ফলাফল কী? সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা, ঐক্য ফ্রন্ট নেতারা আশার আলো দেখছেন কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর্জা ফখরুল বলেন, ''এককথায় সেটি বলা যাবে না। জনগণই বলবে, আশার আলো দেখা যাবে কিনা।'' ড. কামাল হোসেন বলেন, ''বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা আর হবে না এবং এ ধরণের মামলায় আর গ্রেপ্তার হবে না, প্রধানমন্ত্রী এ ধরণের আশ্বাস দিয়েছেন।'' ঐক্যফ্রন্টের দাবি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের ৯০ দিনের মধ্যে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়। তবে সরকার এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একজন প্রধান উপদেষ্টার অধীনে ১০ জন উপদেষ্টামণ্ডলীর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের পুরনো ফর্মুলা তুলে ধরা হয়। তবে তাদের এই দাবিগুলো 'সংবিধানসম্মত নয়' বলে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মি. কাদের আরো বলেছেন মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পরে নির্বাচনের দাবির ক্ষেত্রে কোনো দূরভিসন্ধি বা কৌশল থাকতে পারে যেখানে তৃতীয় কোনো শক্তির আসার সুযোগ থাকে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনের সময় সব পক্ষকে সমান সুযোগ দেয়া, রাজনৈতিক মামলার সুরাহা করা সহ সংবিধান সম্মত যেসব বিষয়ের দাবি তারা করেছে সেগুলোর বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে। ঐক্যফ্রন্টের আরো সময় চাওয়ার বিষয়ে মি. কাদের বলেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন অবস্থাতেই আলোচনা চলতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক সংলাপ আর হবে না। সংলাপ শেষে মি. কাদের বলেন, "সংলাপ ইতিবাচক হয়েছে।" সংলাপ শেষে কোনো বক্তব্য দেননি বিএনপি'র নেতারা। তারা পরবর্তীতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১২ জনের দল সংলাপে অংশ নেয়। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১১ জন অংশ নেন সংলাপে। ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। প্রথম দফা সংলাপে কী হয়েছিল? এর আগে পহেলা নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসে সরকার। সেসময় গণভবনে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে যা শেষ হয়েছিল কোন রকম সমঝোতা ছাড়াই। সেই আলোচনার জের ধরে রোববার ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে আবারো আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান। চিঠিতে বলা হয়, পহেলা নভেম্বরের সংলাপের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী আলোচনার জন্য চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি, গণফোরাম, জাসদের একাংশ এবং নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বেশ কয়েকটি দাবি। আরো পড়ুন: ৭৫-এর নভেম্বর: ইতিহাসের উত্তাল ও রক্তাক্ত দিনগুলো সংলাপ: অসন্তুষ্ট বিএনপি এখন কী করবে? খালেদা জিয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন ঐক্যফ্রন্ট 'সংবিধানসম্মত' সমঝোতাতেই রাজী হবে ঐক্যফ্রন্ট? | আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নেতারা বলছেন, তফসিল ঘোষণা হলেও তারা সীমিত পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে নিকোলাস মাদুরো। দেশটির এই রাজনৈতিক সংকটে বেশ খোলাখুলি নাক গলাচ্ছে। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা জুয়ান গুয়াইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর জন্য আরো খারাপ খবর হচ্ছে আমেরিকায় নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মি: মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করেছেন এবং অন্য সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। মি: মাদুরোর ক্ষমতা যদি নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে তাকে সরিয়ে দেবার জন্য সেনাবাহিনী চূড়ান্ত ধাক্কা দিচ্ছে না কেন? চাকরীর সুবিধা মি: মাদুরোর পূর্বসূরি হুগো চাভেজ যখন ক্ষমতায় আসেন তখন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তার সরিয়ে দেন। মি: চাভেজ নিজেও একসময় সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে তিনি নিজেই সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন। এর বিনিময়ে তিনি সেনা অফিসারদের নানা পদ-পদবীর মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন। আরো পড়ুন: ভেনেজুয়েলার সংকট কীভাবে বিশ্ব সমস্যা হতে পারে ভেনেজুয়েলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ভেনেজুয়েলা সংকট: কোন ভূমিকায় সেনাবাহিনী? ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ। মি: চাভেজ ক্ষমতা গ্রহণের আগে সেনাবাহিনী ব্যারাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তিনি সেনাবাহিনীকে ব্যারাক থেকে বাইরে নিয়ে আসেন। মন্ত্রী পরিষদে তাদের স্থান দেয়া হয়। এছাড়া ব্যাংক এবং নানা আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণও দেয়া হয় সেনা সদস্যদের হাতে। হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন তাঁরই অনুসারী নিকোলাস মাদুরো। মি: মাদুরো একসময় বাস চালক ছিলেন। সেনাবাহিনীর সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর মি: মাদুরো তাঁর পূর্বসূরি হুগো চাভেজের দেখিয়ে পথ অনুসরণ করেন। সেনা সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা তিনি আগের মতোই বহাল রাখেন। সেনাবাহিনীও সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। সেনা কর্মকর্তারা মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রভাবশালী পদে থাকেন। ভেনিজুয়েলার গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো সেনা কর্মকর্তাদের হাতে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য বিতরণ সেবা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কোম্পানি। শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে সেনা কর্মকর্তারা যাতে দুর্নীতি করতে পারে সে সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন মি: মাদুরোকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে সেনা কর্মকর্তারা যদি লোভনীয় সুযোগ-সুবিধা পান, তাহলে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ভয়ও রয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি অংশ, বিশেষ করে সিনিয়র কর্মকর্তারা, প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে চান। কারণ, এর বিনিময়ে তারা অর্থ-বিত্তের মালিক হচ্ছে। একই সাথে তারা মি: মাদুরো সরকারের সাথে আপোষ করছে। এমটাই মনে করেন ব্রাসেলস-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল গানসন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা জুয়ান গুয়াইদো, যিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। মি: গানসন বলেন, " কর্মকর্তা যদি দুর্নীতিবাজ হয় এবং একই সাথে গোয়েন্দারা যদি সেসব দুর্নীতির রেকর্ড ফাইল-বন্দি করে রাখে, তখন কর্মকর্তাদের জন্য মত পাল্টানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।" অপরাধ দমনের নামে ভেনিজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শতশত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে। সেনাবাহিনীর অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত। " তাদের আশংকা হচ্ছে, সরকারের পতন হলে বাকি জীবন তাদের কারাগারে কাটাতে হতে পারে," বলছেন গানসন। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বেশ সফলতার সাথে তাঁর সরকারের টিকে থাকার সাথে সেনা কর্মকর্তাদের স্বার্থকে জড়িত করেছেন। সেনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ দেবার মাধ্যমে সেটি হয়েছে বলে মনে করেন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিরাপত্তা বিষয়ে বিশ্লেষক ব্রায়ান ফনসেকা। গত জানুয়ারি সরকার বিরোধীরা সামরিক ব্যারাকে গিয়ে সৈন্যদের হাতে লিফলেট বিলি করেছেন। সেখানে লেখা ছিল বিরোধী নেতা জুয়ান গুইদো ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্ষমা করা হবে। মি: ফনসেকা বলেন, সরকার বিরোধীদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মধ্যম এবং জুনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু সেনাকর্মকর্তারা সেসব লিফলেটকে গুরুত্ব না দিয়ে সেগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেখানোর চেষ্টা করেছে যে তারা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সাথেই আছে। এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীতে নিচের দিকে অনেক কর্মকর্তা এবং সদস্যরা বিরোধী নেতাকে সমর্থনের উপায় খুঁজছেন। বিরোধীদের সাথে অনেক সেনা সদস্যের যোগাযোগ আছে বলে তিন উল্লেখ করেন। বিশ্লেষক মি: ফনসেকা মনে করেন, ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টি হয়তো কিছু সেনা সদস্যদের মনোভাব পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু অন্যরা বিষয়টিতে আশ্বস্ত হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মি: মাদুরো ক্ষমতা থেকে সরে গেলে সেনাবাহিনী অনেক কিছু হারাবে। সাধারণ ক্ষমার কথা বলা হলেও সেটি আদৌ কার্যকরী হবে কি না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বিরোধীরা ক্ষমতায় আসলে নিপীড়ন, দুর্নীতি এবং মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত সেনাকর্মকর্তারা রেহাই পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। | দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা এখন রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময় পার করছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | নিকাব বা বুরকা কথা উল্লেখ না করেই শ্রীলংকা মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় আড়াইশ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট পোশাক নিয়ে এমন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন। মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জানিয়েছেন, জরুরি আইনের বিধিমালা প্রয়োগ করে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। প্রেসিডেন্টের অফিস বলছে, চিহ্নিত করার জন্য মুখ দেখা যায়না এমন যে কোনো পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত হবে এবং এটি করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। তবে এ নিষেধাজ্ঞা মুসলিম নারীরা মুখ ঢেকে রাখতে যে বোরকা বা নিকাব পরিধান করেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। যদিও এ ধরনের পোশাককে টার্গেট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওদিকে গির্জা ও বিলাসবহুল কয়েকটি হোটেলে হামলার পর দেশটিতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে আরও অনেক জঙ্গি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আছে। 'আমরা ভাবিনি এই লোকটা আমাদের মারতে এসেছে' ফখরুল ছাড়া বাকীদের শপথ ঠেকাতে পারবে বিএনপি? ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টার মালিক 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২০১৮ সালে মুসলিম স্থাপনায় হামলারর পর জরুরি অবস্থা জারি করেছিলো শ্রীলংকা সরকার পোশাকে নিষেধাজ্ঞা: কত মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে? শ্রীলংকায় শতাব্দী প্রাচীন সময় থেকেই মুসলিমরা বসবাস করছে এবং এখন মুসলিমদের সংখ্যাও সেখানে উল্লেখযোগ্য। তবে দেশটির মোট দুই কোটি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা দশ শতাংশের নীচে। তবে এর মধ্যে অল্প পরিমাণ নারীই শরীর ও মুখমণ্ডল ঢেকে এমন নিকাব বা বোরকা পরিধান করে থাকে। গত সপ্তাহে শ্রীলংকার একজন এমপিও নিরাপত্তাজনিত কারণে বোরকা পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব তুলেছিলেন। দেশটির মুসলিম পণ্ডিতদের সংগঠন অল সেলন জামিয়াতুল উলামাও মুখ ঢাকা পড়ে যায় এমন পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে। একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী তার পিঠে একটি বড় রুকসাক নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে নিগোম্বো শহরের একটা গির্জার ভেতরে গিয়ে ঢুকছে এদিকে সপ্তাহ শেষে গির্জা ও মসজিদের নিরাপত্তায় বহু সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছিলো গির্জার কার্যক্রমও। শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ কথিত ইসলামিক স্টেটের অন্তত ১৪০ জন অনুসারিকে খুঁজছে। শুক্রবার জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জাহরান হাশিমের বাবা ও দুই ভাই পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছে। কলম্বোতে আত্মঘাতী হামলায় নিহত জাহরান হাশিম ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। এবারের হামলার জন্য এ সংগঠনকেই দায়ী করছে শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ। | প্রকাশ্য স্থানে মুখমণ্ডল ঢাকা পড়ে যায় এমন পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলংকা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভাসানচরে আবাসনসহ যে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তি এবং রোহিঙ্গাদের রাজি না হওয়া-এই দুইটি বিষয় তাদের পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটা কূটনৈতিক ধাক্কা বলে মনে করছেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১লাখের বেশি রোহিঙ্গা যারা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছেন, তাদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। দুই বছর আগে যখন বাংলাদেশ সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল, সেই শুরু থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সাহায্যকারি জাতিসংঘ এবং আইওএমসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আপত্তি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশ সরকার নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে অবকাঠামো নির্মাণ করে এলাকাটিকে এক লাখ মানুষের বসবাসের জন্য প্রস্তুত করেছে। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শনের পর তারা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে চূড়ান্তভাবে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। শেষপর্যন্ত সরকারকে পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হলো। মানচিত্রে ভাসানচরের অবস্থান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলছিলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের আপত্তির ব্যাপারে প্রাকৃতিক দুযোর্গের ক্ষেত্রে এলাকাটির নিরাপত্তাকে ইস্যু হিসেবে এনেছে। "বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক যারা টেকনাফ উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে, তারা নিজেরাও ভাসানচরে যেতে আগ্রহী নয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ভাসানচরে কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহী নয়। তারা এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য জায়গাটাকে নিরাপদ মনে করে না। এটা তারা বলে। এই দু'টা কারণে এই জিনিসটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।" তিনি আরও বলেছেন, "মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বসতির জন্য নিয়ে আসা হবে-এই ধরণের পরিকল্পনা থেকে সরকার সরে দাঁড়িয়েছে। এবং এখানে ভবিষ্যতে কি করা হবে- সেটাও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।" প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই ভাসানচর প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে। এখন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সরকার আসল পরিকল্পনা থেকে পিছু হটলো এবং এবং এটি সরকারের জন্য একটি ধাক্কা বলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন। কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. রহমান তা মানতে রাজি নন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনও বলেছেন, তারা এখন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সেজন্য আপাতত ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নেয়া হচ্ছে না। বিমান থেকে ভাসানচরে তৈরি করা আবাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলছিলেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে ভাসানচর এলাকাটিই কতটা টেকসই বা নিরাপদ, তা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকার কারণে জটিলতা হয়েছে। "অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর যে কনসার্ন এলাকাটির সাসটেইনইবিলিটি, সেটা আমরা হয়তো প্রপারলী অ্যাসেস করতে পারি নি। এখন আমরা যেটা করতে পারি, সেটা হচ্ছে, নতুন করে অ্যাসেসমেন্ট করতে পারি। কূটনৈতিক চাপের থেকে সাসটেইনইবিলিটি একটা বড় ইস্যু বলে আমি মনে করি।যেটা আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে।" তবে সরকারের পক্ষ থেকে ভাসানচরকে যেকোনো দুর্যোগে নিরাপদ বলে দাবি করা হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবি, বহু হতাহতের আশঙ্কা রোহিঙ্গা নারীদের মূল টার্গেট কেন মালয়েশিয়া? অনেকেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বিয়ের পাত্রী হিসেবে কর্মকর্তারা বলেছেন, দ্বীপ রক্ষাকারি বাঁধের উচ্চতা ১০ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ফুট করা হয়েছে। সেখানে সারি সারি বাড়িঘড়ের পাশাপাশি পর্যপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করার কথাও তুলে ধরা হচ্ছে। এখন তাহলে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা না হলে ভাসানচরকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে-এ ব্যাপারে সরকার এখনও কোনো আলোচনা শুরু করেনি বলে কর্মকর্তারা বলছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন নানভাবে এই ভাসানচরকে ব্যবহার করা যায় বলে তিনি মনে করেন। "এটা অত্যন্ত অপূর্ব জায়গা। এখানে রিসোর্ট হতে পারে।পর্যটনের জায়গা হতে পারে। আমাদের দেশে অনেক গৃহহীন মানুষ আছেন, যারা সেখানে থাকতে চাইবেন। নট নেসেসারি যে আমরা রোহিঙ্গাদের কেই শুধু সেখানে পাঠাবো।" "তবে হাঁ টেকনাফ উখিয়ায় পাহাড় ধসের কথা চিন্তা করে সরকার আগে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।" এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে তারা এখন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি দেয়নি। | আন্তর্জাতিক চাপের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা থেকে বাংলাদেশ সরকার আপাতত সরে এসেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নতুন এলাকায় আসার পর প্রায় তিন বছর বন্ধু ছিলোনা হ্যাজেলের যাদের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় চার হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বলেছেন তাদের কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু নেই। আবার এক তৃতীয়াংশও বলছেন কথা বলার মতো কেউ নেই বলে প্রায়শই তারা একা বোধ করেন। যদিও অনেকে মনে করেন একাকীত্বের মতো বিষয়টি আসলে বয়স্কদের ওপরই প্রভাব ফেলে কিন্তু এই গবেষণা বলছে তরুণ প্রাপ্তবয়স্করাও এখন এ ধরণের সমস্যা অনুভব করেন। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কতটা আছে? কৃত্রিম স্তন প্রতিস্থাপনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটা? কোন কোন বিবেচনায় প্রার্থী বাছাই: বিবিসির চোখে হ্যাজেল নামে একজন বলেছেন তিনি নতুন একটি এলাকায় আসার পর অন্তত তিন বছর কোনো বন্ধু তৈরি করতে পারেননি। মাত্র বিশ বছর বয়সে বার্মিংহামে বড় হওয়া এ তরুণী অন্য একটি এলাকায় যান যেখানে তার স্বামী বাস করেন। "অনেকেই আমাকে বলেছেন বন্ধু তৈরি করা সহজ কিন্তু আমি আসলে অনেক লড়াই করেছি"। তিনি বলেন, "সবসময়ই এটা কঠিন মনে হয়েছে আমার কাছে। শৈশবে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাকে। আমি আসলে আমার সহোদরদের মতো ছিলাম না এবং সামাজিকভাবে মেশার বিষয়গুলো আমি ততটা শিখে উঠতে পারিনি"। হ্যাজেল বলেন তিনি মনে করেন কিছু মানুষের মধ্যে এ বিষয়গুলো আসলে প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে ওঠে আর কিছু মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়। মেয়ে যেনো একই সমস্যায় না পড়ে তা নিয়ে সচেতন হ্যাজেল আস্থা পাওয়াটাই কঠিন হ্যাজেল বিষয়গুলো নিয়ে তার স্বামীর সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান আসেনি। "মানুষকে বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে উঠেছিলো। ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো হারাতে শুরু করলে আপনি আসলে আত্মবিশ্বাসটাই হারাতে শুরু করবেন"। সবসময় একধরনের উদ্বেগের মধ্যে থাকতেন তিনি কিন্তু কখনোই চিকিৎসকের কাছে যাননি। পরে অবশ্য তিনি যখন গর্ভবতী হয়ে পড়েন তখন এ অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। হ্যাজেলের জন্য মাতৃত্ব তাকে একাকীত্বের চক্র ভাঙ্গতে সহায়তা করেছে। আবার সিমোনা ভারানিউট যখন লিথুনিয়া থেকে বেলফাস্টে যান এবং প্রথম ছয় মাস তার ভালোই কেটেছে। "এটাই ছিলো আমার প্রথম কোনো দেশে যাওয়া। আমি ভাবলাম এসেছি এবং কয়েক সপ্তাহ থেকে বাড়ি ফিরে যাবো। বিষয়টা আমি পছন্দ করেছিলাম"। তবে একাকীত্ব বিষয়টা অনুভব করেছিলাম পরে। "আমি যেখানে থাকতাম সেখানকার লোকজন বন্ধু বৎসল। কিন্তু ঠিক বিশ্বাস করার মতো নয়"। এবং তার সন্তান সেবাস্টিনের ছেলে জন্ম নেয়ার পর এটা আরও কঠিন হয়ে যায়। সিমোনা অবশ্য বলছেন ছেলের সাথে সময়টা তার দারুণ কেটে যায়। কিন্তু দিনের লম্বা সময়টা কাটানো ততটা সহজ ছিলোনা। "মনে হতো চার দেয়ালের মধ্যে আটকে আছি। আমি বসে না থেকে বাইরে যেতে চেয়েছি"। পরে চ্যারিটি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হলে একটি কমিউনিটির সাথে তার যোগসূত্র গড়ে উঠে। এখন তার পরামর্শ হলো, কোন নতুন পরিবেশে ভয় পাওয়া বা সাহায্য চাইতে লজ্জিত হওয়া উচিত নয়। | ব্রিটিশ রেড ক্রসের এক গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষ একাকীত্ব কিংবা সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় ভুগছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মাওলানা আহমদ শফী আহমদ শফীকে বাংলাদেশে কওমি ধারার সংগঠন ও অনুসারীদের শীর্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় যিনি শাপলা চত্বরের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ই মে ঢাকা অবরোধ এবং রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বরে তার হেফাজতে ইসলামের অবস্থানকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয়েছিলো তা সারাদেশেই ছড়িয়ে দিয়েছিল চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। কিন্তু সেই কর্মসূচির আগেই এর উদ্যোক্তা মাওলানা আহমদ শফীর নাম জানা হয়ে গিয়েছিলো প্রায় সবার। কারণ শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চলা আন্দোলনের কয়েকজন উদ্যোক্তা এবং ব্লগারের বিরুদ্ধে ধর্মকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিলো মি. শফীর নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফী মারা গেছেন আহমদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার কর্তৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হলেন আহমদ শফীর নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যে কারণে হেফাজত ও আওয়ামী লীগ সখ্যতা: শুধু ভোটের জন্য? মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ কিন্তু একটি মাদ্রাসার প্রধান হয়ে কী করে বহু ভাগে বিভক্ত মাদ্রাসা ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকে সংগঠিত করলেন তিনি? এর পেছনে কি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা সহায়তা ছিল ? এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার শফীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, "আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই তিনি কখনো রাজনৈতিক চিন্তা থেকে আন্দোলন শুরু করেনি। তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন বলেই তাকে কেন্দ্র করে এতো বড় আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।" ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পাখিয়ার টিলায় শাহ্ আহমদ শফীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন। যদিও তার মৃত্যুর পর তার সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন মৃত্যুকালে আহমদ শফীর বয়স হয়েছিলো ১০৩/১০৪ বছর। পরবর্তীকালে যিনি পরিচিত হয়ে উঠেন মাওলানা আহমদ শফী নামে। হাটহাজারী মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবনের সূচনা এবং পরে ১৯৪১ সালে ভর্তি হন ভারতের সুপরিচিত দারুল উলম দেওবন্দ মাদ্রাসায়। এরপর ফিরে এসে ষাটের দশকে শিক্ষকতা শুরু করেন হাটহাজারী মাদ্রাসাতেই। প্রায় পাঁচ দশক ধরে তার ঘনিষ্ঠ ঢাকার খিলগাঁও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম । তিনি বলছেন বাংলাদেশে দেওবন্দ অনুসারীদের একক নেতা মিস্টার শফী ছিলেন ঊর্দু, ফার্সি, আরবি ভাষা ও সাহিত্যের পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষায় একজন পণ্ডিত। "পঞ্চাশ বছর যাবত দেখেছি তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী ও অত্যন্ত পরহেজগার। যে কারণে মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য হয়েছেন।" মাওলানা নুরুল ইসলাম কিন্তু শুধু ইসলামী জ্ঞান বা পাণ্ডিত্য নয়, বরং তাঁকে আলোচনায় এনেছে ব্লগারদের একটি অংশকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের একক নেতায় পরিণত হওয়ার বিষয়টি। শাহবাগের আন্দোলন চলাকালে হেফাজত ইসলামের ব্যানারে নানা তৎপরতার পাশাপাশি চট্টগ্রামে তার মাদ্রাসায় গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়মিত সাক্ষাতের ঘটনাও তাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছিল। শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলছেন আহমদ শফীর ইসলামী জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য নিয়ে তার কোন সংশয় নেই। তবে তাঁকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে একটি গোষ্ঠী এবং তারাই মি. শফীর হয়ে তাঁর বক্তব্য-বিবৃতি তৈরি ও প্রচার করতো। তিনি বলেন, "উনাকে ঘিরে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়েছিল। উনার রাজনৈতিক মূল্যায়ন হবে না। মূল্যায়ন হবে ধর্মীয় তাত্ত্বিক ও বুজুর্গ হিসেবে। উনার নামে অন্যরা বক্তব্য দিয়েছে। সরাসরি উনি কোন উগ্র বক্তব্য দেননি।" অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ মি. শফীর সহযোগীদের অনেকের বিরুদ্ধেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছিলো এবং তারা ব্লগারদের যে তালিকা তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলেন সে তালিকার কয়েকজনকে পরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। আবার নারীদের নিয়ে তার একটি বক্তব্যও সমালোচনার ঝড় তুলেছিলো, যদিও অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলো হেফাজতে ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ মনে করছেন মি, শফীকে রাজনীতিবিদরাই নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে বড় শক্তিতে পরিণত করেছিলেন আর তার প্রভাব পড়েছিলো রাজনীতিতেও। তিনি বলেন, "শাপলা চত্বরের ঘটনা ও তার অনুসারীদের উত্থান যে রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেনি এমনটি নয়। প্রভাবটা হচ্ছে কিছু লোক কথাবার্তায় উগ্রতা প্রদর্শন করছে। কিছু ইস্যুর সৃষ্টি হয়েছে।" তবে বিশ্লেষকরা যাই বলুন ভবিষ্যতই বলে দেবে মাওলানা আহমদ শফী কি ইসলামী পণ্ডিত হিসেবেই সমাদৃত থাকবেন নাকি হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে যে পরিস্থিতির সূচনা করেছেন তিনি, একইসঙ্গে সেটিও তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনুসারীদের মধ্যে। | বিক্ষোভের জের ধরে বাংলাদেশে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরপরই অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকায় মারা গেলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফী। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | যৌন হয়রানির শিকার প্রায় ৬৩ শতাংশ নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তারা এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট করেননি বা কাউকে জানাননি। অন্যদিকে যৌন হয়রানির শিকার ৭৯ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন এ বিষয়টি তারা নিজেদের মধ্যেই চেপে রেখেছিলেন। বিবিসি রেডিও ৫ লাইভ-এর জন্য যে সংস্থাটি জরিপ চালায় তারা দুই হাজারেরও বেশি মানুষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে। হলিউডের অন্যতম প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পরই এই জরিপ চালানো হয়। সম্প্রতি হলিউডের বেশ কয়েকজন নায়িকা বলেছেন অস্কারজয়ী প্রযোজক মি: ওয়েনস্টেইনের কাছে কী ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মি টু' হ্যাশ ট্যাগে অনেক নারী-পুরুষ জানিয়েছেন কীভাবে তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। দুই হাজার ৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ওপর বিবিসির রেডিও ৫ লাইভ জরিপ চালায়। ওই জরিপে প্রায় ৫৩ শতাংশ নারী ও ২০ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর মন্তব্য শুনেছেন আর বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। জরিপে আরও দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশ মানুষ অপ্রিয় বা অশ্লীল কৌতুক শুনেছেন। এছাড়া, প্রতি সাত জনে অন্তত একজন অযাচিত বা অশ্লীল স্পর্শের শিকার হয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ কেটামিন মাদক হিসেবে বাংলাদেশে থেকে পাচার নামী অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ফেসবুকে সারাহ তাঁর শিক্ষক ও অধ্যাপকের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। আর প্রতি ১০ জনে একজন নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বসদের কাছ থেকে পুরুষদের তুলনায় নারীরাই বেশি হয়রানির শিকার হন এবং জরিপে জানা গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী ছিলেন বসদের টার্গেট। অন্যদিকে, পুরুষরাও এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম- প্রায় ১২ শতাংশ। জরিপে উঠে এসেছে প্রতি ১০ জনে একজন নারী যৌন হয়রানির কারণে শিক্ষাক্ষেত্র বা কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করেছেন। ক্যামব্রিজের সারাহ কিলিকয়নে বিবিসি নিউজকে জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে দুজন মানুষ তাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। কিশোরী বয়সে স্কুল শিক্ষক এবং কলেজে ওঠার পর সেখানকার একজন অধ্যাপক সারাহকে যৌন হয়রানির মধ্যে ফেলেন। বিবিসিকে সারাহ বলেন "আমি জানি আমাদের আশেপাশেই অনেক মানুষ আছে যারা যৌন শিকারী, খুব কম মানুষই আছে যারা তাদের নিষ্ক্রিয় করতে পারে"। 'নোংরা ও অস্বস্তিকর' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে নারী বসের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিনি জানান "আমার ওই নারী বস সবসময় আমার পোশাক, আমার দেহসহ সবকিছু নিয়ে প্রশংসা করতো। আমার বুকের লোম নিয়ে কথা বলতো এবং আমি নারীদের মধ্যে কী বেশি পছন্দ করি তা জানতে চাইতো"। "আমার অন্য নারী সহকর্মীরা এটা শুনে হাসতো। কিন্তু এসব কথা শুনে নোংরা বোধ করতাম অস্বস্তিকর লাগতো"। কর্মক্ষেত্রে পুরুষ বস যৌন হয়রানির মধ্যে ফেলেছেন এমন কথা চেপে যান অনেক নারী। 'ভয়ে অচল হয়ে পড়া' লেবার এমপপ জেস ফিলিপস ও ম্যারি ক্রেইগ নিজেদের শৈশবের অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করেছে। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা যেন নিজেদের অভিজ্ঞতা আড়ালে না রাখে সেটাকে উৎসাহিত করতেই মিস ফিলিপস শৈশবের যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা জানান লন্ডনের এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেবার সময়। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও বাজে অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। মিস ফিলিপস জানান, এক অনুষ্ঠানে তার বস যখন তাকে যৌন হেনস্তা করছিল তখন তিনি 'ভয়ে অচল হয়ে পড়েছিলেন'। মিস ক্রেইগ জানান সাত বছর বয়সে তাকে যৌন হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছিল। স্কুলের খেলার মাঠে ১২ জন ছেলে তাকে চুমু দেয়ার খেলার মধ্যে আটকে ফেলেছিল। বিবিসির এই জরিপ ছাড়াও গত বছর প্রকাশিত টিইউসির জরিপেও উঠে আসে যে ব্রিটেনে অর্ধেকেরও বেশি নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়, যার বেশিরভাগই খবরে আসে না। | বিবিসির এক জরিপে উঠে এসেছে, কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশুনার জায়গায় অর্ধেক ব্রিটিশ নারীই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, এমনকি এক পঞ্চমাংশ পুরুষও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.