content
stringlengths 0
129k
|
---|
( তখন এই মোদীর নাম ও শুনিনি, কেশুভাই তখন সর্বেসর্বা)
|
টেন্ডার জমা করে সেই দিন ই ফেরা সম্ভব ছিল না
|
ফ্লাইট পরের দিন
|
সেই মোদিলুফৎ
|
আমেদাবাদ থেকে দিল্লী এসে সবাইকে নামিয়ে দিয়ে ২ ঘন্টা বাদে আবার দিল্লী থেকে কোলকাতা
|
স্যুটকেস যথাস্থানে যথাসময়ে নামিয়ে এস টি ডি বুথ থেকে বস কে জমা করার খবর দিয়ে দিয়েছি
|
( তখন মোবাইল নেই পাঠকবৃন্দ
|
আর আমার বস ছিলেন চেইন স্মোকার
|
বুথ থেকে ফোন করে ওনার কাশি শুনতে শুনতেই ৭০ / ৮০ টাকা উঠে যেত
|
তারপর টেন্ডার জমা পড়ে গ্যাছে খবর দেওয়াটা আরো ৫ টাকার মত লাগতো
|
আমেদাবাদ থেকে দিল্লী নির্বিঘ্নে পৌঁছে এয়ারপোর্ট এর মধ্যেই সিগারেট ধরিয়ে (হ্যাঁ, তখন কোন বাঁধা ছিল না) ঘুরে বেড়াচ্ছি
|
হঠাৎ আমার চেয়েও প্রায় ২/৩ ইঞ্চি লম্বা প্রায় ৬ ফিট ২/৩ হবে এক ভদ্রলোক আমার পথ আটকালো
|
প্রথমে নিজের পরিচয় দিলো
|
দিল্লী এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি আধিকারিক বলে
|
আমার পরের গন্তব্য জেনে, অল্প কথায় পরিচয় সেরেই আমাকে নিয়ে সোজা দোতলায় নিজের অফিস
|
অবস্থা বুঝতেই পারছেন
|
আমার তখন শুধু প্যান্ট ভেজা বাকী
|
খালিস্থান তখন হট টপিক
|
কি ভাবতে কার মত দেখতে ভেবে আমাকে ধরলো এসব ভাবতে ভাবতেই এক কাপ গরম কফি নামলো সামনে সাথে সামোসা
|
বলির আগে শেষ খাওয়া নয়তো? দু তিন টে ফোন সেরে সেই মিস্টার অরোরা ঘুরে বসলেন আমার দিকে
|
আমি তখন মনে মনে মা কালী র জপ ৭৭ তম বার শেষ করেছি
|
প্রথমেই সেই ঝাঁট জালানো প্রশ্ন " ডর লাগ রাহা হ্যায় ক্যায়া? "
|
আমি হ্যাঁ না মিশিয়ে একটা ঘোঁৎ করে আওয়াজ বের করে ৩২ পাটি বের করে " নাহি নাহি" বলতেই " শাব্বাস" শুনলাম
|
তারপর আমাকে এই ভাবে তুলে আনার রহস্য ভেদ শুরু করলেন অরোরা সাহেব
|
এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি তখন ধীরে ধীরে খারাপ সময়ের জন্য তৈরি হচ্ছে
|
সেই এয়ারপোর্টের সামনে গাড়ি থেকে নেমে ৫/৭ মিনিটের মধ্যে ডিপার্চার গেটের সামনে পৌছে যাওয়ার দিন গুলো আস্তে আস্তে অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে
|
অবিশ্বাস বাড়ছে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিকিউরিটির সময় আর বহর
|
এই প্রেক্ষাপটে অরোরা সাহেব দেশের অন্যতম স্পর্শকাতর এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত অফিসার আর আমি সেইদিনের জন্য ওনার ব্যাক্তিগত পছন্দের ছাগল
|
হ্যাঁ, আমি সেদিনের সরকারী সাজানো উগ্রপন্থী
|
যারা বডি ফ্রিস্কিং করেন তাদের পরীক্ষার প্রশ্ন
|
তফাৎ একটাই, তারা কেউ জানেন না আজ পরীক্ষা
|
ব্যাপারটা এবার খোলসা করে বোঝানো শুরু করলেন অরোরা সাহেব
|
আমার শরীরে উনি একটা রিভলবার লুকিয়ে দেবেন
|
আমাকে অপেক্ষা করতে হবে ফ্লাইট এর ফাইনাল বোর্ডিং ঘোষণা পর্যন্ত
|
তারপর শেষ মূহুর্তে দৌড়াদৌড়ি করে সিকিউরিটি তে পৌছতে হবে
|
অরোরা সাহেব নিশ্চিত, ওনার অধঃস্থন অফিসার রা ঠিক এই সময় সবচেয়ে বেশী ভুল করেন
|
উনি সেটাই ধরে খান দুই সাসপেন্ড না করে আজ রাতে রাম খাবেন না প্রতিজ্ঞা করেছেন
|
আমার ফ্লাইট ছাড়তে প্রায় এক ঘন্টা বাকি
|
উনি এইটুকু বুঝিয়ে আমাকে বসিয়ে রেখে আরেকটি ছাগল ধরতে বেরিয়ে গেলেন
|
সাথে রেখে গেলেন আরেক অফিসার কে যাতে আমি না পালাই
|
আর এই অনভিপ্রেত উত্তেজনা যেনো কোনভাবেই আমার চোখে মুখে ছাপ না ফ্যালে সেই মহেন্দ্রক্ষনে, তাই হাতে দিয়ে গেলেন এক গাদা ডেবোনেয়ার ম্যাগাজিন
|
ঘোড়েল অফিসার
|
কোনবয়সে কোন ম্যাগাজিন মন কে দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে রাখতে পারে তার সম্যক ধারণা ওনার আছে সেটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়ে শিস দিতে দিতে উনি বেরিয়ে গেলেন
|
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেল,কোপেনহেগেনে বিড়ি -
|
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেল,দুধেতে পটিতে -
|
ভিটের টান -
|
সুইডেনে সুজি -
|
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেল, অমর্ত্য সেন -
|
সামান্থা ফক্স -
|
রণছোড় -
|
সমরবাবুর বৃত্তান্ত -
|
ডেভিড লিভিংস্টোনের খোঁজে-৫৭ - হেনরি মর্টন স্ট্যানলে
|
নোটবন্দীর সাতকাহন: পাঁচবছর পর - রঞ্জন রায়
|
সংরক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা (তৃতীয় পর্ব) -
|
মেম সাহেব পুতুল -
|
পারলৌকিক প্রলাপ -
|
গল্পঃ কালা চশমা -
|
পড়া-শোনা -
|
পায়ের তলায় সর্ষে (এবং কোভিড) - পুয়ের্তো রিকো : পর্ব - ১ - মিঠুন ভৌমিক
|
"মুখোশ" -
|
বিস্মৃতির পাঠ্যক্রম - প্রবুদ্ধ বাগচী
|
সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার, সেই অবিস্মরণীয় প্রাণদায়ী মুহূর্ত -
|
এই কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো - ইতিহাসের পাতায় যাদবপুরের সুলেখা মোড় - দেবব্রত মণ্ডল
|
নামিবিয়ার নোমাডদের আশ্চর্য মনঃসংযোগ -
|
আমাদের সেই পাড়া - ঝর্না বিশ্বাস
|
অতি-বৈষম্যই কি ধ্বংস ডেকে আনবে? -
|
'তবু মনে রেখো' - প্রবুদ্ধ বাগচী
|
বৈষ্ণবটিলার ফকির - শক্তি দত্ত রায়
|
হীরকরাজার মগজধোলাই মেশিন -
|
লেখক - ইন্দ্রজিৎ রায়ের লেখা - 'বৈশাখের ডাইরি', -
|
কোথায় তোমার দেশ গো বন্ধু? পর্ব ৪ -
|
আমি, সোনার কেল্লার ফুলমতী - তামিমৌ ত্রমি
|
কোথায় তোমার দেশ গো বন্ধু? পর্ব ৩ -
|
বিচ্যুত স্বদেশভুমিঃ বাংলার জৈব সংস্কৃতির লুপ্তাবশেষের সন্ধান --- তাৎক্ষণিক পাঠপ্রতিক্রিয়া -
|
সলিলের তিন পর্যায় - সম্বিৎ
|
চাকা - প্যালারাম
|
এবার আমার কথা
|
সামনে ক্ষীণ বসনা সুন্দরীদের প্রচুর ছবি অথচ আমার মন অস্থির
|
নানা প্রশ্ন ভিড় করে আসছে মনে
|
যেমন এই অরোরা ব্যাটা নিজেই কি সত্যি? আমি যদি ফেঁসে যাই
|
যদি ধরা পড়ে সরকারের খাতায় বোনাফাইড আতংকবাদীর পরিচয় হয়
|
বাকি জীবন টা কোন জেল এ পচে মরবো? ইস
|
সকালেই মা কে ফোন করেছিলাম
|
বলেছি আলু সিদ্ধ ভাত, ঘি দিয়ে খাবো রাত্রে
|
আর কি আমার ঘি ভাত খাওয়া হবে এ জম্মে? স্যুটকেস বয়ে টেন্ডার জমা করার লোক, বস এক হপ্তায় খুঁজে নেবে
|
তারপর কি আর আমায় ছাড়াতে আসবে? এসব ভাবতে ভাবতে যে চিন্তা টা মাথায় এল তাতে শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা কুল কুল করে একটা শিরশিরানি নেমে এল
|
অরোরা ব্যাটাচ্ছেলে এখন তো খুব সামোসা খাওয়াচ্ছে
|
আমি যখন ওই ষন্ডা গুলোর সামনে পাখির মত দু হাত তুলে দাঁড়াবো, তখন তো আমি একা
|
অরোরা ব্যাটা সামনে আসবে না
|
কোথায় নাকি লুকিয়ে লক্ষ্য রাখবে আমাকে আর ওর ষন্ডা গুলোর ওপর
|
তা সেই সময় যদি সিকিউরিটির ষন্ডা গুলো আমার শরীরে লুকিয়ে রাখা রিভলভার টা হাতে পায়, বোঝাবুঝি পরে, আগে মাটিতে ফেলে কয়েক ঘা লাথালাথি, চড় থাপ্পড় মারবে না তার গ্যারান্টী অরোর নেবে? আর নিলেই বা, সে গ্যারান্টির কোন দাম আছে? আমতা আমতা করে সাথের অফিসার টা কে এই সম্ভাবনার কথাটা জিজ্ঞাসা করতেই ব্যাটা এক গাল হেসে বলে " হাঁ, ইয়ে হো সাকতা হ্যায়"
|
অবস্থা ভাবুন আমার
|
টপ টপ করে ঘাম ঝরে সেই অল্পবসনারা তখন সব সিক্তবসনা
|
মনে মনে ঠাকুর কে ডাকছি
|
আর কোনদিন টেন্ডার শেষ দিনের জন্য ফেলে রাখবো না
|
৩ দিন আগে শেষ করে ট্রেন এ আসবো তাও ভালো
|
আর দরকার নেই আমার প্লেন চড়ার ফুটানির গল্প মারা ওই ঘ্যাম বাপি, লেবু বাপি, কাতলা বাপি দের কাছে
|
( বাপি নামেই পাড়ায় ৩/৪ জন বন্ধু ছিল
|
আলাদা করে বোঝার জন্য আমরা এই ভাবেই ডাকতাম
|
যাক সে কথা)
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.