content
stringlengths
0
129k
আপনার মন্তব্য করতে প্রথমে লগইন করুন
১৭ মার্চ - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ২ টি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না
লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে
যাদের নিজের ধর্ম আর নিজেদের ধর্ম গ্রুন্থেরই একটির সাথে আরেকটির কোন মিল নেই তাদের কিভাবে আপনি একটি রেফারেন্স সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ করে দেখাবেন
এই ধর্মটির আসলে শতশত শাখা প্রশাখা থাকার কারনে এক গ্রুপের সাথে আরেক গ্রুপের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না
তাই যদি কেউ হিন্দু ধর্মের (ব্লাক সাইড) বা খারপ দিক গুলো তুলে ধরে কোন রেফারেন্স বা সুত্র দিয়ে থাকে তাহলে মডারেট হিন্দুরা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এই সুত্রটি ভুল আছে বা এটা আমাদের বেদে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
এর কারণ হচ্ছে তাদের বেদ আর পুরাণের ভার্সনের অভাব নেই
অনেক ভার্সনের মধ্যে তারা কিছু কিছু নির্ভরযোগ্য মানুষের লেখা বা অনুবাদ পড়ে এধরনের কথা বলে
আসলে এদেরও তেমন কোন দোষ নেই কারণ হিন্দু ধর্মের এই জাতীয় "ঋগ্বেদ সংহিতা" "যযুর্বেদ সংহিতা" "অথর্ববেদ সংহিতার" মতো গ্রন্থগুলি আসলে তাদের নিজেদের মধ্যেই সহজলভ্য নয়
এর কারণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৮০% তাদের এই মূল গ্রন্থগুলো পড়াতো দূরে থাক তারা হাতে নিয়েও কোন দিন দেখেনি
এই হিসাবটিতে আমার ভুল থাকতে পারে সংশোধন করে দেবার অনুরোধ রইলো
এই হিন্দু ধর্মের মানুষের একেক গ্রুপের মধ্যে একেক রকম মত বা একেক গ্রন্থে যে একেক রকম সুত্র দেওয়া আছে তার একটি নমুনা দেখুন এখানে
বিভিন্ন একেশ্বরবাদী ধর্মের মতো হিন্দু ধর্মেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন ইশ্বর বা স্রষ্টার কথা বলা আছে তা অনেক হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানেই না
তারা মনে করে থাকে তাদের শত শত আর হাজার হাজার দেব-দেবতায় হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা
যে কারোনে ১০০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের যদি জিজ্ঞাসা করা যায় আপনি কত জন দেবতা বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ? তাহলে নানা উত্তর আসে তাদের কাছে থেকে
সে যাই হোক প্রতিটি ধর্মই আসলে মানুষে তৈরি ঠিক যেমন প্রতিটি ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাও মানুষের তৈরি
এই মতে বর্তমান যুগের মানুষের আর কোন সন্ধেহ থাকার কথা না
যারা এখনও অন্যান্য (পৃথিবীর সকল) ধর্মের মতো হিন্দু ধর্মকে সত্য বা মানবিক ধর্ম বলে দাবী করে আসছেন তাদের আরো ভালো করে আপনাদের এই ধর্মের সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ করবো আগে
কারণ আমরা হিন্দু ধর্মের যে সকল গ্রন্থ গুলো সহজে হাতে পেয়ে পড়ে থাকি তা পড়ার পড়ে এটুকুই জানতে পা্রি অন্যান্য সকল বর্বর আর আমানবিক ধর্মের মতো এই ধর্মটিও কোন অংশে বর্বরতার আর অমানবিকতার থেকে পিছিয়ে নেই বরং প্রথম সারিতেই আছে
আর যদি এই ধর্মটি মানবিক আর বর্বর না হয়ে থাকবে থাহলে কেন তাদের মূল ধর্মীয় গ্রুন্থ গুলো মানুষের মধ্যে সহজলভ্য করে রাখে নাই বা এখনও করছে না
সমস্যা কি ?
এবার আসুন আমরা হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর ধারণা সম্পর্কে জানি
যদি কোনো সাধারন হিন্দুকে প্রশ্ন করেন আপনি কতজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন? কেউ হইতো বলবে ১০ জন, কেউ ৫০ জন, কেউ ১০০ বা ২০০ জন, কেউ ১০০০ জন আবার কেউ হয়তো বলবেন ৩৩ কোটি জন
কিন্তু আমরা যদি কোনো জ্ঞানী হিন্দু পন্ডিত যিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ গুলো যেমন, বেদ, পূরান, ইত্যাদি পড়েছেন তার কাছে যাই তাহলে তিনি বলবেন হিন্দুদের কেবল মাত্র একজন ঈশ্বরের ইবাদাত করা উচিত
এ সম্পর্কে বেদ বা হিন্দু ধর্মের বহু কিতাব থেকে বহু উদ্ধৃতি উপস্থাপন করা যায়
যেমন, চারটি বেদেই এই শ্লোক (মন্ত্রটি) আছে
একে বেদের ব্রহ্মসুত্রও বলা হয়ে থাকে-"একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চান" অর্থাৎ ঈশ্বর একজন তার মতো কেউ নেই, কেউ নেই সামান্য নেই
আরও আছে "তিনি একজন তারই উপাসনা করো" (ঋকবেদ ২/৪৫/১৬)
আরো দেখুন "এক্‌ম এবম অদ্বৈতম " অর্থাৎ তিনি একজন তার মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১/২/৩)
"একজনই বিশ্বের প্রভূ" (ঋকবেদ ১০/১২১/৩)
এছাড়াও অনেক জোর দিয়ে বলা হয়েছে "ন্ দ্বিতীয় ন্‌ তৃতীয় চতূর্থ না পুচ্যতে
ন্‌ পঞ্চম ন্‌ ষস্ট সপ্তম না পুচ্যতে
ন্‌ অস্টম ন্‌ নবম দশমো না পুচ্যতে
য এতং দেব মেক বৃত্যং বেদ
" (অথর্ব বেদ সুক্ত ১৪/৪/২) অর্থাৎ পরমাত্মা এক
তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ, পঞ্চম,ষস্ট,সপ্তম,অস্টম,নবম বা দশম বলিয়া অবিহিত আর কেহই নাই
যিনি তাহাকে এক বলিয়া জানেন তিনিই তাহাকে প্রাপ্ত হোন
উপরের এ সকল স্লোক থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, হিন্দু ধর্মেও একেশ্বরবাদ স্বীকৃত
তাই অন্যান্য একেশ্বরবাদী ধর্মের মতো হিন্দু ধর্মের মধ্যে প্রথম সাদৃশ্য হল একেশ্বরবাদ ব্যাতীত দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর নেই
তাহলে প্রশ্ন থাকলো হিন্দুদের এতো শত শত, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি দেব দেবোতা আর ঈশ্বর যাদের সকলের নাম মনে হয় একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে একজীবনে জানায় সম্ভব না তারা কোথায় গেলো
তাহলে কি হিন্দু ধর্মের নিজেদের ভেতরেই কোন মিল থাকলো ? যারা রেফারেন্স দেওয়া সুত্রের মিল নেই বলে দাবী করেন বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মতো প্যাচাতে থাকেন তাদের এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেবার অনুরোধ রইলো
- - - - মৃত কালপুরুষ
১০/১২/২০১৭
ফেসবুক মন্তব্য
শেয়ার করুনঃ
পোস্ট ন্যাভিগেশন
← কাঙ্খিত মৃত্যুকে ঘিরে জগতের তাত্ত্বিক আয়োজন
রাজনীতির রং →
১ "হিন্দু ধর্মের নিজেদের ভেতরেই কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না
বলেছেন:
ডিসেম্বর ১০, ২০১৭; ৬:২৫ অপরাহ্ন এ
পূর্বের আর্য ধর্মবিশ্বাস আর
পূর্বের আর্য ধর্মবিশ্বাস আর বর্তমান ধর্মবিশ্বাস মোটেও এক এরকমের নয়
খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ সাল থেকে আজ ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এসে এই ধর্মের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে
নিরাকার এবং পশু উতসর্গ যজ্ঞ ভিত্তিক ঈশ্বরের থেকে এখন সেই ঈশ্বর হয়ে উঠেছে মূর্তি পূজারী, দেবতা প্রধান,গান বাজনা নর্তন কুর্দন,বাবাজি,মাজি,স্বামীজি ভিত্তিক ধর্মীয় আচার নির্বিষ্ট একটি ভারতীয় আঞ্চলিক ধর্ম
এই ধর্ম আরো সংস্কার হয়ে হয়তো আরো কিছু শতাব্দী এই ভুখন্ডের টিকে থাকবে
তবে ৩০০০ বছর একটি ধর্মের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সদম্ভে টিকে থাকা খুব বড় কোন বিষয় নয়
এর চাইতে বহু প্রাচীন ধর্ম ধংস্ব হয়ে সেই ধর্মের পালনকারীরা এখন খুবই অল্প পরিমাণে টিকে আছ, যেমন ইহুদি,জুরুথুষ্টু অথবা প্রাচীন চাইনিজ ধর্মের লোকেরা
মন্তব্য করুন জবাব বাতিল
আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না
* চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক
স্প্যাম ফিল্টার (উত্তর ইংরেজীতে লিখুন)
ইস্টিশন গেট
ব্যবহারকারী নাম
নিবন্ধন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে
নতুন পোষ্ট লিখুন
আপনার প্রোফাইল
আপনার সকল পোষ্ট
রফিক ইসলাম
রফিক ইসলাম
রফিক ইসলাম
রফিক ইসলাম
2021
রফিক ইসলাম
২৪৩: তাবুক যুদ্ধ-১৬: মুমিনদের শাস্তি ও ভণ্ডদের মুক্তি -কারণ?
গোলাপ মাহমুদ
২৪২: তাবুক যুদ্ধ-১৫: মসজিদ ধ্বংসের কারণ ও কৈফিয়ত!
গোলাপ মাহমুদ
রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না সেক্যুলার সমাজ/রাষ্ট্রই আমাদের লক্ষ্য
রবিউল আলম ডিলার
ধর্মের জন্য প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে
রবিউল আলম ডিলার
হৃদয়ে শেফালির প্রেম জাগানিয়া উস্কানি সয়ে সয়ে চন্দ্রনাথের চূড়ায়
মিশু মিলন
আর্কাইভ মাস নির্বাচন করুন নভেম্বর 2021 (11) অক্টোবর 2021 (7) সেপ্টেম্বর 2021 (6) আগস্ট 2021 (10) জুলাই 2021 (11) জুন 2021 (6) মে 2021 (16) এপ্রিল 2021 (14) মার্চ 2021 (21) ফেব্রুয়ারী 2021 (6) জানুয়ারী 2021 (13) ডিসেম্বর 2020 (16) নভেম্বর 2020 (18) অক্টোবর 2020 (25) সেপ্টেম্বর 2020 (64) আগস্ট 2020 (77) জুলাই 2020 (65) জুন 2020 (62) মে 2020 (72) এপ্রিল 2020 (54) মার্চ 2020 (70) ফেব্রুয়ারী 2020 (70) জানুয়ারী 2020 (54) ডিসেম্বর 2019 (57) নভেম্বর 2019 (98) অক্টোবর 2019 (58) সেপ্টেম্বর 2019 (40) আগস্ট 2019 (74) জুলাই 2019 (90) জুন 2019 (77) মে 2019 (84) এপ্রিল 2019 (78) মার্চ 2019 (72) ফেব্রুয়ারী 2019 (80) জানুয়ারী 2019 (49) ডিসেম্বর 2018 (68) নভেম্বর 2018 (39) অক্টোবর 2018 (80) সেপ্টেম্বর 2018 (71) আগস্ট 2018 (96) জুলাই 2018 (108) জুন 2018 (119) মে 2018 (165) এপ্রিল 2018 (169) মার্চ 2018 (237) ফেব্রুয়ারী 2018 (186) জানুয়ারী 2018 (221) ডিসেম্বর 2017 (173) নভেম্বর 2017 (190) অক্টোবর 2017 (283) সেপ্টেম্বর 2017 (281) আগস্ট 2017 (317) জুলাই 2017 (263) জুন 2017 (288) মে 2017 (354) এপ্রিল 2017 (404) মার্চ 2017 (318) ফেব্রুয়ারী 2017 (318) জানুয়ারী 2017 (320) ডিসেম্বর 2016 (291) নভেম্বর 2016 (258) অক্টোবর 2016 (195) সেপ্টেম্বর 2016 (258) আগস্ট 2016 (320) জুলাই 2016 (323) জুন 2016 (289) মে 2016 (356) এপ্রিল 2016 (307) মার্চ 2016 (12) ফেব্রুয়ারী 2016 (23) জানুয়ারী 2016 (27) ডিসেম্বর 2015 (16) নভেম্বর 2015 (17) অক্টোবর 2015 (19) সেপ্টেম্বর 2015 (25) আগস্ট 2015 (44) জুলাই 2015 (11) জুন 2015 (23) মে 2015 (25) এপ্রিল 2015 (20) মার্চ 2015 (27) ফেব্রুয়ারী 2015 (23) জানুয়ারী 2015 (30) ডিসেম্বর 2014 (14) নভেম্বর 2014 (16) অক্টোবর 2014 (21) সেপ্টেম্বর 2014 (24) আগস্ট 2014 (17) জুলাই 2014 (18) জুন 2014 (22) মে 2014 (21) এপ্রিল 2014 (11) মার্চ 2014 (16) ফেব্রুয়ারী 2014 (12) জানুয়ারী 2014 (82) ডিসেম্বর 2013 (10) নভেম্বর 2013 (3) অক্টোবর 2013 (17) সেপ্টেম্বর 2013 (25) আগস্ট 2013 (38) জুলাই 2013 (35) জুন 2013 (23) মে 2013 (430) এপ্রিল 2013 (293) মার্চ 2013 (122) ফেব্রুয়ারী 2013 (289)
বাটি চালান
:
মৃত কালপুরুষ
আমি মৃত কালপুরুষ
অন্ধকার আকাশে ঝুলে থাকা ৭
টি নক্ষত্রে আঁকা আমি এক বিকট বিরাট
প্রশ্নবোধক চিহ্ন
পৃথিবীকে আলোকিত