content
stringlengths
0
129k
তারা ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেন
কপিরাইট © 2021 সৌর ইনভার্টার দ্বারা,হাইব্রিড সৌর বৈদ্যুতিন সংকেতের মেরু বদল,বিভক্ত ফেজ সৌর বৈদ্যুতিন সংকেতের মেরু বদল,এমপিপিটি সোলার ইনভার্টার,গ্রিড ভার্টার বন্ধ,বৈদ্যুতিন সংকেতের মেরু বদল কারখানা
আইএনবি ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে
এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করেছে
এর আগে সকাল ১০টা থেকে নয়াপল্টনে অফিসের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে আগানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়
এ সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে
পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের এই আয়োজন করেছিল বিএনপি
বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন
এই বিষয়ে জানতে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি
দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টখাত ধ্বংসের 'ষড়যন্ত্রে'র কথা বলা মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে - আনু মুহাম্মদ -
সাক্ষাৎকার
ভিডিও চিত্র
...
আনু মুহাম্মদ -
দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টখাত ধ্বংসের 'ষড়যন্ত্রে'র কথা বলা মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে
: , 08 2013 21:45
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব
গার্মেন্টস শিল্পের নানা সমস্যা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আমাদের বুধবার-এর সঙ্গে
আমাদের বুধবার: একের পর এক গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ড ও ভবন ধসের ঘটনা ঘটছে
এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হচ্ছেন
এসব ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন?
আনু মুহাম্মদ: অগ্নিকান্ডের ঘটনা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালের দিকে
একটা কারখানা চললে সেখানে আগুন লাগতেই পারে
এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়
সমস্যাটা হচ্ছে, অগ্নিকান্ডের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা নিয়ে
আগুন লাগে যে সব কারণ সেগুলো বলবৎ আছে কিনা যেমন- ইলেকট্রিক ওয়ারিং সিস্টেম ঠিকঠাক মতো রাখা, দাহ্যপদার্থ সঠিক জায়গায় রাখা
এরপরও দুর্ঘটনাবশত আগুন লাগতে পারে
আগুন লাগার পর সেটি নেভানোর যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কিনা তাও দেখতে হবে
অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সঠিক জায়গায় রাখা, ওয়ার্নিং সিস্টেম উন্নত করা, অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র চালাতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক রাখা, শ্রমিকদের ঠিকমতো মহড়া দেয়া, আগুন লাগার পর বের হওয়ার রাস্তা আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে
জরুরি বর্হিগমনের ব্যবস্থা আছে কিনা, সিঁড়ির পর্যাপ্ত প্রশস্ততা, দরজা খোলা রাখা, কারখানায় তালা না মারা- এ বিষয়গুলো দেখতে হবে
ভবনধস হচ্ছে আগুন লাগার মতোই
প্রথমত, ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনে করা হচ্ছে কিনা, বিল্ডিং কোড মানার পর সেটি কারখানার মতো উপযুক্ত কিনা তাও দেখতে হবে
কারণ সব ভবনে কারখানা করা যায় না
যদি কোথাও ফাঁটল দেখা যায় সঙ্গে সঙ্গে তদারকি পদ্ধতির বিষয়টি দেখতে হবে
এতে দুর্ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হয় সর্বনিম্ন
ভবন নির্মাণে বিধিমালা যদি না মানা হয়, কারখানার জন্য ভবন উপযুক্ত না হয়- বুঝতে হবে, এটি দুর্ঘটনা নয়; স্রেফ হত্যাকান্ড
মালিকের অধিক মুনাফা লাভের জন্য খরচ বাঁচানোর চেষ্টায় ওই ব্যবস্থাগুলো রাখা হয়নি
ফলে এ দুর্ঘটনাকে মালিকের মুনাফা লোভের 'পরিণতি' বলতে হবে
এটাই হত্যাকান্ড এবং দুর্ঘটনার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য
তাজরিনের অগ্নিকান্ড কিংবা রানা প্লাজার ভবনধস- এগুলোকে কিছুতেই দুর্ঘটনা বলা যায় না
মালিক পক্ষের কারণে পুরো কারখানা
জেলখানায় পরিণত করা হলো
চূড়ান্তভাবে মৃত্যুকূপে পরিণত হলো তাজরিন ফ্যাশনস
অন্যদিকে রানা প্লাজার ক্ষেত্রে ভবন নিয়ম মেনে করা হয়নি
পুরো ভবনটি বেআইনিভাবে - যা কারখানার জন্য উপযুক্ত নয়
এতে ফাটল ধরল
ফাটল জানা সত্ত্বেও অতি মুনাফার লোভে সেখানে জোর করে শ্রমিকদের ঢোকানো হলো
এরপর কলাপসিবল গেট আটকে দেয়া হলো
এটি পরিষ্কার হত্যাকান্ড বৈ কিছু নয়
আমাদের বুধবার: এসব ঘটনার জন্য দায়ী কারা?
আনু মুহাম্মদ: এখানে প্রথমত দায়ী মালিক
মালিকের কারখানায় যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে, তবে সেটার জন্য প্রথমে দায়ী করা হবে ভবন এবং গার্মেন্টস মালিককেই
দেশের সবকিছুর কর্তৃত্ব সরকারের
এসব দুর্ঘটনার সকল দায়-দায়িত্বও সরকারের
কোন ভবনে কোন কারখানা হবে তার নীতিমালা প্রণয়ন করবে সরকার
নীতিমালা তদারকির দায়িত্বও সরকারের
কোন ভবনে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে সেটি দেখার দায়িত্ব সরকারের
এর জন্য শিল্প, শ্রম, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান রয়েছে
এছাড়া বিজিএমইএ'রও দায়িত্ব রয়েছে এখানে
এটি হচ্ছে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন
এটি হচ্ছে বৈশ্বিক শিল্প
বিশ্বব্যাপী এর যারা অংশীদার অর্থাৎ যারা এর ক্রেতা সেখানেও এর জবাবদিহিতার ব্যাপার থাকে
এ কারণে বিজিএমইএ'র গুরুদায়িত্ব রয়েছে
মোদ্দা কথা, মালিক পক্ষ, বিজিএমইএ এবং সরকার- তিনজনেরই দায়িত্ব রয়েছে
এর বাইরে আরেকটি দায়িত্ব রয়েছে বিদেশি ক্রেতাদের (বায়ার এবং রিটেইলার)
একটি পোশাক যে দামে ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি হয় তার ৬০ থেকে ৮০ ভাগ লাভ নেয় বায়ার ও রিটেইলার
তাদের দায়িত্ব, যেখান থেকে পোশাকটা তৈরি হচ্ছে সেখানে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ আছে কিনা তা দেখা
এটা সাধারণত দেখা হয় না
বায়াররা মুনাফা বাড়ানোর জন্য দরকষাকষি করে দাম বাড়াতে থাকে কারখানার মালিকদের সঙ্গে
মালিকরা দাম কমাতে গিয়ে একইসঙ্গে নিজের লাভ ধরে রাখতে শ্রমিকদের ঠকায়
শ্রমিকদের নিরাপত্তা, মজুরি, ওভারটাইম- এগুলো থেকে বঞ্চিত করে নিজের মুনাফা নিশ্চিত করে
কিংবা এমন সাব-কন্ট্র্যাক্টরের কাছে কাজটা দেয় যার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই
পুরো প্রক্রিয়ায় বিদেশি ক্রেতা কিংবা আমাদের দেশের মালিক- কারো মুনাফা কমে না, সবার মুনাফাই উচ্চ পর্যায়ে থাকে
তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করে যেমন- থানা, পুলিশ, আমলা, চাঁদাবাজ সবাই
তাদের লোভ-ক্ষমতার পুরো চাপটাই পড়ছে শ্রমিকদের ওপর
এ নিষ্ঠুর ব্যবস্থাপনার কারণে এ খাতের শ্রমিকদের অবস্থা অনেকটা দাসশ্রমের মতো
আমাদের বুধবার: এখান থেকে বের হয়ে আসার পথ কি?
আনু মুহাম্মদ: মুনাফা লোভে যারা উন্মত্ত থাকে তাদের স্বাভাবিক মানুষে পরিণত করা সম্ভব নয়
কিন্তু মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করতে পারলে তাদের পথে আনা সম্ভব
শ্রমিক যত দুর্বল থাকে তার মুজুরি তত কম থাকে
শ্রমিক যত সংগঠিত থাকে, তার লড়াই তত শক্তিশালী হয়
যদিও সামগ্রিক ব্যবস্থার কারণে মুজুরিটা কখনই পুরোপুরি শ্রমিকের পক্ষে যায় না
তবে আপেক্ষিকভাবে তার মুজুরিটা বাড়ানো সম্ভব, যদি শ্রমিক সাংগঠনিকভাবে সংঘবদ্ধ থাকে
বর্তমানে বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের যত ধরনের সংস্থা আছে, এর মাত্র তিনভাগ শ্রমিকের সংগঠন রয়েছে বাকি ৯৭ ভাগের নেই
শ্রমিক সংগঠন না থাকার ফলে প্রতিনিধিত্বকারী করার মতো, কথা বলার মতো কেউ নেই
এর বাইরে যদি জাতীয় সংগঠন দেখি যারা শ্রমিকের স্বার্থে কথা বলতে চায়, তাদের দুর্বলতা এত বেশি যে, তারা কোন 'শক্তি' হিসেবে দাঁড়ায় না
ওইসব সংগঠনের মধ্যে অনেকগুলোকে আবার শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বলা যায় না
এর মধ্যে কিছু মালিকদের সংগঠনও রয়েছে
কোন কোন সংগঠন আর্ন্তজাতিক ইকুয়েশন অনুযায়ী কাজ করে, ফলে তারা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে না
তবে কিছু সংখ্যক সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে বটে তবে তাদের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল
এরমধ্যে বিজিএমইএ মালিকদের সংগঠন
তাদের শক্তিই বেশি
তারা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ
সরকারে যেই থাকুক না কেন, বিরোধী দলে যেই থাকুন না কেন; বিজিএমইএ'এর তাতে কোন অসুবিধা নেই
সব দলের প্রতিনিধি বিজিএমইএতে আছে
ফলে সরকারই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়
এতে করে তারা 'যা ইচ্ছে তা করা'র ক্ষমতা অর্জন করে
এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শ্রমিকদের সাংগঠনিক শক্তি বিকাশের বিকল্প নেই