content
stringlengths
0
129k
"বাবরী মসজিদ" এ নামকরণ করা হয়েছে মুঘল সম্রাট বাবরের নামে, তিনিই এ নির্মাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন
[১০] ১৯৪০ এর পূর্বে একে "মসজিদের জন্মস্থান" বলা হত [১১]
মসজিদের নির্মাণকৌশল[সম্পাদনা]
দিল্লির সুলতানি এবং তার উত্তরাধিকারী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকরা শিল্প এবং স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের নির্মিত অনেক সমাধি, মসজিদ ও মাদ্রাসা সূক্ষ নির্মাণকৌশলের নিদর্শন বহন করে
মুঘলদের স্থাপত্য তুঘলক রাজবংশের স্থাপত্যের প্রভাব বহন করে যার একটি স্বতন্ত্র গঠনশৈলী আছে
ভারতের সর্বত্র, মসজিদসমূহের ভিন্ন ভিন্ন গঠনশৈলী আছে যা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছিল
এই নির্মাণগুলির মধ্যে আদিবাসী শিল্প ঐতিহ্য এবং স্থানীয় কারিগরদের মার্জিত শৈলী ও দক্ষতা উভয়ই প্রকাশ পায়
মসজিদের নির্মাণে আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক জলবায়ু, ভূখণ্ড, উপকরণ ইত্যাদি প্রভাব ফেলতো যার ফলে বঙ্গ, কাশ্মীর ও গুজরাটের মসজিদের মধ্যে বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়
মসজিদগুলি শুধুমাত্র স্থানীয় মন্দির বা গার্হস্থ্য গঠনশৈলীর মধ্যে আবদ্ধ ছিল না
বাবরি মসজিদ জানপুরের সুলতানি স্থাপত্যের পরিচয় বহন করে
পশ্চিম দিক থেকে দেখলে এই মসজিদ জানপুরের আতালা মসজিদ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ
বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল
মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল
স্থাপত্যশৈলী নকশা[সম্পাদনা]
বাবরি মসজিদের পার্শ্ব মানচিত্র
এ মসজিদের স্থাপত্যশৈলী দিল্লি সুলতানের মসজিদের একটি প্রতিলিপি ছিল
তবে বাবরী বিখ্যাত তার স্বতন্ত্র শৈলীর জন্য
[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাবরি মসজিদের অভ্যন্তরীণ শব্দ-নিয়ন্ত্রণ এবং শীতলীকরণের ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিকের (১৮২৮-১৮৩৩) স্থাপত্যশিল্পী গ্রাহাম পিকফোর্ডের মতে,
"বাবরি মসজিদ মিহরাব থেকে একটি ফিসফিস কথা ২০০ ফুট [৬০ মিটার] দূরে মসজিদের অন্য প্রান্ত পর্যন্ত স্পষ্ট শোনা যায় এবং যেটি কেন্দ্রীয় আদালতের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বরাবর
বাবরি মসজিদের স্বনবিদ্যা প্রসঙ্গে তার বই -এ পাওয়া যায়,
"মিম্বর থেকে কণ্ঠ স্থাপন ও প্রক্ষেপণ ষোড়শ শতাব্দীর একটি স্থাপনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নত, এই কাঠামোতে শব্দের অনন্য স্থাপনা দর্শনার্থীকে বিস্মিত করবে
আধুনিক স্থপতিদের মতে বাবরি মসজিদের চিত্তাকর্ষক স্বনবিদ্যার কারণ হল মসজিদটির মিহরাব (মসজিদের একদিকে একটি অর্ধবৃত্তাকার দেয়াল যেটি ক্বিবলা নির্দেশ করে) ও পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলিতে বিভিন্ন খাঁজ যা অনুনাদক হিসাবে কাজ করত
এই নকশা মেহরাবে অবস্থিত ইমামের কথা (উপাসনা) সবাইকে শুনতে সাহায্য করত
এছাড়াও বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেলেপাথর অনুনাদের কাজ করে যা মসজিদটির শব্দ-নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করত
আদালতের রায়[সম্পাদনা]
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগকরার রায় প্রদান করেন
যার এক অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, দ্বিতীয় অংশ পাবে ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন
যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদ কোন মন্দির কে ধ্বংস করে তার উপরে করে উঠছে কিনা এই বিষয়ে তিনজন বিচারক একমত হতে পারেননি, তারা শুধুমাত্র একমত হতে পেরেছেন, মসজিদের নিচে মন্দির অথবা মন্দিরের মতো কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব ছিল
[১৩] ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক করা খননকার্যের জরিপ আদালত দ্বারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং তারা মনে করেছে যে স্থাপনাটির অস্তিত্ব মসজিদ নির্মাণের পূর্বে থেকে ছিল সে স্থাপনাটি একটি বিশাল হিন্দু মন্দির ছিল
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার শুনানি করে
[৭][৮] ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে ৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ২.৭৭ একরের সে জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য কোন ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতে হবে
আদালত সরকারকে এটাও নির্দেশ দেয় যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কে ৫ একরের একটি জায়গা দিতে হবে
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বের ১৯৯২ সাল থেকে ২৮ বছর ধরে চলা এই মামলার ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে ভারতের বিশেষ আদালত
সেই রায়ে অভিযুক্ত সবাইকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে
লখনউয়ের বিশেষ আদালতে রায় পড়েন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব
বিচারকের যুক্তি 'ওই কর্মকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না'
তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয় বলে জানায় আদালত
অভিযুক্ত ৩২ জনকেই সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়
৩২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ২৬ জনকে আদালতে উপস্থিত থাকার আদেশ দেওয়া হয়
বাকি ছয় জন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রায়ের সময় অংশ নেন
মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বলিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর যোশী, সাবেক মন্ত্রী কল্যাণ সিং ও উমা ভারতীর বিরুদ্ধে
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
বাবরি মসজিদ ধ্বংস
১৯৯০ এর বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ , (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯), ' : , , , , পৃষ্ঠা 227-, আইএসবিএন 978-0-226-34055-5 উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে ()
↑ , .. (আগস্ট ১৯৯৭)
" : ' ' "
জেস্টোর 3517601
↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <> ট্যাগ বৈধ নয়; নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
↑ , (২০০৪), : , , পৃষ্ঠা 262, আইএসবিএন 0-691-12048- উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে ()
↑ , (২০০৭)
পৃষ্ঠা 582-598
↑ , , 30 2010.
↑ ক খ গ ঘ " : ' "
সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯
↑ ক খ " ; "
২০১৯-১০-১৬
সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮
↑ ক খ " : - "
২০১৯-১১-০৯
সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯
↑ , (২০০৫)
পৃষ্ঠা 165
আইএসবিএন 978-0-19-516208-0
↑ * , (২০০৯), " , : ", a; , , , পৃষ্ঠা 63, আইএসবিএন 978-1-4438-1189-7 উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে ()
, . (২০০৯), " ", ; ; , : (17 )., , পৃষ্ঠা 25, আইএসবিএন 978-0-398-07995-6, 1940, - উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে ()
, 1993, পৃ. 19, 27, 104
↑ , সম্পাদক (১৯৯০)
-
পৃষ্ঠা 37
↑ " : "
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯
↑ " " ()
সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১২
↑ বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয়ার মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস[১]
জীবনী[সম্পাদনা]
, (২০০৪)
" : "
পৃষ্ঠা 239-259
উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা ()
আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
. ' , ' (), 2 , 1999, . , , , , . .
, . " : ." & . 2000, . 31, 2.
: , . 1996. , . . : .