content
stringlengths 0
129k
|
---|
বিদেশে চিকিৎসাও খালেদার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ: এএসএলডিবি
|
তবিবুর রহমান, ঢাকা
|
১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২১
|
আপডেট: ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২৮
|
লিংকডইনে শেয়ার করুন
|
ইমেইল করুন
|
ওয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন
|
ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
|
টিআইপিএস সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএমএমইউ'র ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) নিউজবাংলাকে বলেন, 'খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যে তথ্য এসেছে যে তিনি লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত
|
তার কিডনি ফেইলিওর হয়ে গেছে
|
হার্টের অবস্থাও খারাপ
|
এমন রোগীকে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) করা হলে চিকিৎসার পর নানা জটিলতা দেখা দেবে
|
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা রয়েছে
|
এমন বাস্তবতায় বিদেশে নিয়ে যে চিকিৎসা দেয়া হবে তা খালেজা জিয়ার জন্য ঝুঁকির বলে মত দিয়েছে লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশ (এএসএলডিবি)
|
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়
|
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের যথেষ্ট সচেষ্ট থাকারও পরামর্শ দিয়েছে এএসএলডিবি
|
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) নিউজবাংলাকে বলেন, 'খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে
|
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চাইছেন আসলেই এই রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব কীনা
|
এমন পরিস্থিতিতে আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি
|
ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, 'মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যে তথ্য এসেছে যে খালেদা জিয়া লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত
|
তার কিডনি ফেইলিওর হয়ে গেছে
|
হার্টের অবস্থাও খারাপ
|
এমন একজন রোগীকে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) করা হলে চিকিৎসার পর নানা জটিলতা দেখা দেবে
|
চিকিৎসায় ঝুঁকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'টিআইপিএসের ক্ষেত্রে চিকিৎসা-পরবর্তী জটিলতা বিশেষ করে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি অর্থাৎ লিভার রোগজনিত অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়
|
এছাড়াও টিআইপিএস করার সময় হার্টের জটিলতা দেখা দিতে পারে
|
শিরাপথে ডাই ব্যবহারে কিডনির জটিলতাও বহু মাত্রায় বাড়তে পারে
|
অর্থাৎ টিআইপিএস করার সময়ও হার্ট ডিজিজ বা কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের প্রসিডিউরজনিত জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়
|
এসব ঝুঁকি মাথায় রেখে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত
|
সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা আছে
|
তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা নয়
|
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে পোর্টাল হাইপারটেনশনজনিত বিভিন্ন কারণ, যেমন ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক এন্ট্রাল ভাসকুলার একটাশিয়া ইত্যাদি থেকে খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে রক্তপাত হতে পারে
|
ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধে ইসোফেজিয়াল ভ্যারিসিয়াল লাইগেশন (ইভিএল) একটি বহুল ব্যবহৃত স্বীকৃত চিকিৎসা
|
বার বার রক্তক্ষরণ বন্ধের ক্ষেত্রেও ইভিএল করা যায়
|
এছাড়া পোর্টাল হাইপারটেনশনের কারণে বার বার রক্তক্ষরণ এবং যথাযথ মাত্রার ওষুধ প্রয়োগের পরও বার বার আসা পেটের পানির (রিফ্র্যাক্টরি এসাইটিস) চিকিৎসার ক্ষেত্রেও টিআইপিএস করা যায়
|
লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন
|
তারা জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রীর যকৃৎ বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
|
একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেয়া গেছে
|
তবে এখন তার যে অবস্থা সেটি আবার সামাল দেয়া কঠিন হবে
|
দুই থেকে তিনবার রক্তক্ষরণ সামাল দেয়ার কারিগরি সুযোগ বাংলাদেশে নেই দাবি করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা
|
গত রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি নেত্রীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ব্রিফিং করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা
|
তারা দাবি করেন, খালেদা জিয়ার যে রোগ হয়েছে তার চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির অল্প কয়েকটি বিশেষায়িত সেন্টারে সম্ভব
|
বাংলাদেশে এই চিকিৎসার কারিগরি সুযোগ-সুবিধা যেমন নেই, তেমনি ওষুধও নেই
|
আরও চার মাস আগে বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে তার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতো না বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিএনপির গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান
|
এরপর সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব
|
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই এ রোগের বিশ্ব মানের চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম
|
এবার লিভার বিশেষজ্ঞদের বিজ্ঞপ্তি এলো গণমাধ্যমে
|
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে: সাখাওয়াত হোসেন
|
'ইসি বাঁচাতে' মেডিক্যাল বোর্ড চান মাহবুব তালুকদার
|
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার 'সময় নেই'
|
সার্চ কমিটিতেই নতুন ইসি: আ.লীগ প্রস্তুত, বিএনপি দ্বিধান্বিত
|
'মঙ্গলগ্রহ থেকে কি নির্বাচন কমিশনার আনব'
|
শেয়ার করুন
|
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মামলা ৯০ দিনে শেষ করার নির্দেশ
|
আব্দুল জাব্বার খান, ঢাকা
|
১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:০৬
|
লিংকডইনে শেয়ার করুন
|
ইমেইল করুন
|
ওয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন
|
ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
|
সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দেশের সব অধস্তন ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে প্রাপ্তির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হলো
|
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অভিযোগে হওয়া মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন
|
দেশের সর্বোচ্চ আদালত বুধবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে
|
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সব অধস্তন ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে প্রাপ্তির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হলো
|
ওই সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হলে কারণ উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হলো
|
এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে
|
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে: সাখাওয়াত হোসেন
|
'ইসি বাঁচাতে' মেডিক্যাল বোর্ড চান মাহবুব তালুকদার
|
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার 'সময় নেই'
|
সার্চ কমিটিতেই নতুন ইসি: আ.লীগ প্রস্তুত, বিএনপি দ্বিধান্বিত
|
'মঙ্গলগ্রহ থেকে কি নির্বাচন কমিশনার আনব'
|
শেয়ার করুন
|
ভার্চুয়াল কোর্টেই মুক্তি: প্রধান বিচারপতি
|
আব্দুল জাব্বার খান, ঢাকা
|
১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২৯
|
আপডেট: ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৬
|
লিংকডইনে শেয়ার করুন
|
ইমেইল করুন
|
ওয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন
|
ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
|
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বুধবার ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (বামে প্রথম)
|
ছবি: নিউজবাংলা
|
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, '২০০৭ সালে জুডিশিয়ারি পৃথক হয়েছে
|
এখনও সব জায়গায় ভবন হয়নি
|
আমরা বিচারক দুই-তিন গুণ করব
|
তাদেরকে কোথায় বসাব? একমাত্র ভার্চুয়াল কোর্ট যদি প্রবর্তন করা যায় তাহলে বিচারকের বাসায় থেকে, আইনজীবীদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে
|
তাহলে অচিরেই আমরা মামলার জট থেকে মুক্তি পেতে পারব
|
তা ছাড়া মামলার জট থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন ব্যাপার
|
'আমাদের মুক্তি হলো ভার্চুয়াল কোর্টে
|
ই-জুডিশিয়ারি ও ই-ফাইলিং চালু হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে মামলার জট থাকবে না
|
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বুধবার ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
|
মামলার জট কমাতে ভার্চুয়াল কোর্টের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, '২০২০ সালের ৫ এপ্রিল আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম, আমরা জজ সাহেবরা ১০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে দেয়ার জন্য
|
প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে টাকাটা দিয়ে বললাম, কোর্ট তো ফাংশন করছে না
|
সারা পৃথিবীতে কোর্ট চলছে
|
বাংলাদেশে শুধু কোর্ট চলছে না
|
তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, 'ভার্চুয়াল কোর্ট করেন
|
' ভার্চুয়াল কোর্টের আইন করা যে কত কঠিন!
|
'সেই আইন আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করেছি
|
এ জন্য আমি মাননীয় আইনমন্ত্রী, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ দেব
|
আমরা সকলে বসে ভালো করে দেখেছি
|
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে তার পরে আমরা আইনটা করেছি
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.