content
stringlengths 0
129k
|
---|
সে সময়কার ঘটনা বর্ণনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, "তারপরে দেখা গেল মন্ত্রিসভা বৈঠক আর হচ্ছে না
|
তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার অনুরোধ করা হলো
|
পরে তিনি তিনজন মন্ত্রীকে দিয়ে গণভবনে মন্ত্রিসভার মিটিং করে আমাদের আইনের জন্য যে অর্ডিন্যান্স, সেটা পাস করেছেন
|
সুতরাং এত স্বল্পতম সময়ে এবং পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, 'যেই দিন আমার কাছে আসবে সেই দিন সাথে সাথে সই করে দিব
|
' সুতরাং এই স্বল্পতম সময়ে এ আইনটা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় আইনমন্ত্রীর কাছে আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব
|
"কারণ বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল
|
তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, জেলখানা আমার পক্ষে কন্ট্রোল করা সম্ভব হচ্ছে না
|
কিছু একটা করেন
|
এখন আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কোর্টে যাবেন না
|
তারপরে ভার্চুয়াল কোর্ট হওয়ার পরে এক লাখ লোকের জামিন হয়েছে ভার্চুয়াল কোর্ট থেকে
|
তিনি বলেন, 'প্রথম আমাদের একটা মিসটেক ছিল; ইউএনডিপির হেল্প নিয়েছি
|
ইউএনডিপির রিসোর্স লিমিটেড
|
আর সরকারের রিসোর্স হচ্ছে আনলিমিটেড
|
ইউএনডিপির রিসোর্স দিয়ে জাজদের অ্যাপ দিতে পারি নাই
|
সব কোর্ট কাজ করতে পারে নাই
|
লজিস্টিকের এত অভাব ছিল
|
'এমনকি নিম্ন আদালতে তারা ফ্রি অ্যাপ দিয়ে কাজ করেছে
|
নিম্ন আদালতের জাজদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিব
|
তারা তখন ফ্রি অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করেছে
|
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "তারপর আমি দেখলাম এটা তো সমাধান হতে পারে না
|
কারণ এই প্যানডেমিক কত দিন চলবে তার কোনো ঠিক নাই
|
আমি আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি
|
প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, 'আপনি তো ভার্চুয়াল কোর্ট করে দিয়েছেন
|
এখন তো ভার্চুয়াল কোর্ট ভালোভাবে চলছে না লজিস্টিকের অভাবে
|
' তখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'এটা তো আমাকে প্রথমেই বলা উচিত ছিল
|
আপনার কত টাকার প্রয়োজন?'
|
"আমি বললাম আপাতত ১০ কোটি টাকা দিলে অ্যাপ-ট্যাপ এগুলা কিনব
|
তখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছে কি কেউ ১০ কোটি টাকা চায়?' আমি একটু লজ্জা পেলাম
|
তারপরে প্রধানমন্ত্রী মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে বললেন, 'প্রধান বিচারপতি যা কিছু চাবে, সব তাৎক্ষণিক দিতে হবে
|
' এরপর সাথে সাথে প্রতিমন্ত্রী সব দিয়েছেন
|
এরপর আমি সবকিছু চালু করতে পেরেছি
|
সুতরাং এটা আমার কাছে বেশি সাফল্য
|
তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেছিলাম, লাখ লাখ ফাইল আমাদের বারান্দায় পড়ে আছে
|
আমি একদিন আমাদের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, তখন তিনি বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাকে নিয়ে দেখলাম লাখ লাখ ফাইল বারান্দায় পড়ে আছে
|
তারপর গেলাম ক্রিমিনাল সেকশনে
|
সেখানেও একই অবস্থা
|
এখান থেকে ফাইল খুঁজে বের করে কোর্টে দেয়াটা দুঃসাধ্য কাজ
|
'আমরা যদি এটা আর্কাইভ করে রাখতে পারি, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে
|
আমি আশা করি আমরা অচিরেই এটা করতে পারব
|
মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ
|
তার সঙ্গে আমি দুইটি মিটিং করেছি
|
তিনি আমাদের ফুল সাপোর্ট দিয়েছেন
|
তিনি বলেছিলেন, টাকা কোনো সমস্যা না
|
কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে শুধু সুপ্রিম কোর্টের কাজ করার জন্য ২২০ কোটি টাকা দিয়েছে
|
যেখানে আমরা ভার্চুয়াল কোর্ট শুরু করেছি ১ লাখ ডলার দিয়ে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে ২২০ কোটি টাকা
|
এখানে হচ্ছে একটা ডেটা সেন্টার, যেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ
|
যেখানে আমাদের সমস্ত কিছু থাকবে, এটার জন্য খরচ হবে ১৫০ কোটি টাকা
|
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, 'মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও আইসিটি উপদেষ্টা আমাদের যেইভাবে সাপোর্ট করেছেন, আমার চলে যাওয়ার সময় হয়েছে
|
আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ
|
একজন প্রধান বিচারপতির সময় কোর্ট বন্ধ থাকা, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আমার জীবনে বোধ হয় কোনো ঘটনা ঘটেনি
|
সুতরাং আমি যে কোর্ট চালু রাখতে পেরেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইসিটি উপদেষ্টা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ
|
'আমি আর একটা কথা বলব, আমার উত্তরসূরি যে আসবেন, উনি এ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন
|
এটাকে অনেক সামনে নিয়ে যেতে হবে
|
আমাদের মুক্তি হলো ভার্চুয়াল কোর্টে
|
কারণ আমাদের বিচারক সংখ্যা দুই, তিন গুণ করা প্রয়োজন হবে
|
এখনও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্ডিং হয়নি সব জায়গায়
|
তিনি বলেন, '২০০৭ সালে জুডিশিয়ারি পৃথক হয়েছে
|
এখনও সব জায়গায় ভবন হয়নি
|
আমরা বিচারক দুই-তিন গুণ করব
|
তাদেরকে কোথায় বসাব? একমাত্র ভার্চুয়াল কোর্ট যদি প্রবর্তন করা যায় তাহলে বিচারকের বাসায় থেকে, আইনজীবীদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে
|
তাহলে অচিরেই আমরা মামলার জট থেকে মুক্তি পেতে পারব
|
তা ছাড়া মামলার জট থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন ব্যাপার
|
যেমন: অ্যাফিডেভিট সেকশনে আসতে হয়, চেষ্টা করা হবে আইনজীবীর চেম্বারে আইনজীবী এনআইডির সঙ্গে করেসপন্ড করে যদি করা যায়, তাহলে অ্যাফিডেভিট সেকশনে আসতে হবে না
|
এর ফলে ২৪ ঘণ্টা ফাইল করা যাবে
|
'ভারতে ২৪ ঘণ্টা ফাইল করা যাচ্ছে
|
আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আমার যে উত্তরসূরি আসবে তিনি যদি এটা করেন, বিচার বিভাগে একটা বিপ্লব ঘটে যাবে
|
শুধু তাই নয়, এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে জায়গায় যাচ্ছে, শুধু মুখে কথা বলবেন, লেখা হয়ে যাবে; কষ্ট অনেক কমে যাবে
|
আগামী ৫ বছরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন জায়গায় যাবে যে জুডিশিয়ারিতে কোনো পেন্ডিং মামলা থাকবে না
|
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার
|
এ সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন
|
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে: সাখাওয়াত হোসেন
|
'ইসি বাঁচাতে' মেডিক্যাল বোর্ড চান মাহবুব তালুকদার
|
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার 'সময় নেই'
|
সার্চ কমিটিতেই নতুন ইসি: আ.লীগ প্রস্তুত, বিএনপি দ্বিধান্বিত
|
'মঙ্গলগ্রহ থেকে কি নির্বাচন কমিশনার আনব'
|
শেয়ার করুন
|
বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত: কনডাক্টর-হেলপার রিমান্ডে
|
হীরক পাশা , ঢাকা
|
১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৫২
|
আপডেট: ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:০০
|
লিংকডইনে শেয়ার করুন
|
ইমেইল করুন
|
ওয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন
|
ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
|
অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হয়
|
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বুধবার বাসের কনডাক্টর গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়াকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন
|
রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার অনাবিল পরিবহনের বাসের কনডাক্টর ও হেলপারকে এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ
|
ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বুধবার তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এ আদেশ দেন
|
রিমান্ডের আদেশ পাওয়া দুজন হলেন সেই বাসের কনডাক্টর গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া
|
আদালতে রামপুরার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন
|
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে মাইনুদ্দিনের মায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন
|
আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়
|
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় মাইনুদ্দিন নামে শিক্ষার্থীর
|
মাইনুদ্দিন একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল
|
পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করছিল
|
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে
|
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসসহ অন্তত আটটি বাসে আগুন ও চারটি বাস ভাঙচুর করে
|
বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
|
দুর্ঘটনার সময় চালক মো. সোহেলকে আটক করে প্রত্যক্ষদর্শীরা
|
তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে দেয়া হয়
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.