content
stringlengths
0
129k
লাইফস্টাইল
অ্যাস্ট্রো
উত্তর-পূর্ব ভারত
অপরাধ-তদন্ত
মার্কিন খবর
তথ্য-তালাশ
সিটিজেন রিপোর্টার
লেন্সবন্দি
ফটো গ্যালারি
2021
রাত ৯টায় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বড় গ্রহাণু
| . | : 21, 2021, 9:05
এত বড় সত্যি! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বড় গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা বলছেন ২০০ বছরে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসতে চলেছে এই গ্রহাণু। টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশে চোখ রাখুন। না হলে মিস হবে।
গ্রহাণু (ছবি সৌজন্যে টুইটার)
আর মাত্র কিছুক্ষণের ব্যাপার
গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে 2001 32
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে গ্রহাণু
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কিছুক্ষণের ব্যাপার। তারপরেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে সবচেয়ে বড় ও দ্রততম গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা বলছেন ২০০ বছরে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসতে চলেছে এই গ্রহাণু। নাসার পক্ষ থেকে এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে 2001 32।
আর্থ স্কাইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই গ্রহাণু প্রতি সেকেন্ডে ২১ মাইলের গতিতে এগিয়ে চলেছে। আর গতি তে এগিয়ে আসার ফলেই ২১ মার্চ মানে আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে গ্রহাণু 2001 32। তবে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এলেও, এর দুরত্ব হবে ১.২৫ মিলিয়ন মাইল। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই গ্রহাণুর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার কিলোমিটার বা ৭৭ হাজার মাইল
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আকারে বড় হলেও খালি চোখে কিন্তু মোটেই দেখা সম্ভব নয় এই গ্রহাণুকে। দেখতে হলে শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে হবে। বিজ্ঞানীরকা জানিয়েছেন এরপর ফের ২০৫২ সালে ২২ মার্চে দেখা যেতে পারে 2001 32।
আর্থ স্কাইয়ের আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, 2001 32 দেখতে পাবেন দক্ষিণ গোলার্ধে থাকা মানুষজন। মূলত, দক্ষিণ আকাশেরই অবস্থান করবে 2001 32। ২০০১ সালে এই প্রথম এই গ্রহাণু আবিষ্কার করে - . তাহলে রেডি থাকুন আর কিছুক্ষণ পরেই আকাশে ঘটবে এই মহাজাগতিক ঘটনা।
নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে এত বড় মাপের আর কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর এতটা কাছে আসবে না
তবে মাপে বড় হলেও এবং পৃথিবীর কাছে এলেও, খুব একটা দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে পৃথিবীর এত কাছে আসায় মহাকাশ গবেষণায় সুবিধা হবে। বিজ্ঞানি জানিয়েছেন এরফলে মহাকাশ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা সম্ভব হবে। এমনকী, সৌরমণ্ডলের জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা। সঙ্গে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই
তাই দুশ্চিন্তারও কোনও কারণ নেই
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের পেজে
সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বিতর্কিত কপিরাইট আইন পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছে; সমালোচকরা বলছেন এই আইন ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারা সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারে
নতুন নীতিমালায় (বিতর্কিত অনুচ্ছেদ ১৩ সহ) অনুমতি ছাড়া কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো কিছু ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তার দায়ভার নেবে
তবে মিম এবং জিআইএফ শেয়ার করা এই নতুন আইনের অন্তর্ভূক্ত হবে না
অনেক সঙ্গীতশিল্পী, চিত্র ও কারুশিল্পী মনে করেন এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে শিল্পীদের আর্থিক মূল্যায়ণ সঠিকভাবে হবে - কিন্তু অন্য অনেকেই মনে করে এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কাজ, যেগুলোকে ইউজার-জেনারেটেড কন্টেন্ট বলা হয়, ধ্বংসের মুখে পড়বে
কপিরাইট হলো একজন ব্যক্তির আইনি অধিকার, যা ঐ ব্যক্তির তৈরি করা কোনো কাজ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বর্তমান আইনের অধীনে শিল্পীদের ন্যায্য সম্মানীই দেয়া হচ্ছে
গুগল বলেছে, এই আইন 'ইউরোপের ডিজিটাল ও সৃজনশীল শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত' করবে
এই বিতর্কিত আইনটি পাস করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপিয়ান সংসদের ৩৪৮ জন সাংসদ, আর এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৭৮ জন
বিতর্ক তৈরি হচ্ছে কী নিয়ে?
আইনের যে দু'টি ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, সেগুলো অনুচ্ছেদ ১১ ও অনুচ্ছেদ ১৩ হিসেবে পরিচিত
অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী, যে কোনো নিউজ ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করতে সার্চ ইঞ্জিন এবং নিউজ অ্যাগ্রিগেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অর্থ দিতে হবে
অনুচ্ছেদ ১৩ অনুযায়ী, কপিরাইট লাইসেন্স ছাড়া যে কোনো কিছু পোস্ট করলে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়বদ্ধ করা হবে
কপিরাইট করা কাজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও আরোপিত হবে কড়াকড়ি
এরই মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কপিরাইট সহ পোস্ট করা গান এবং ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে
বাংলাদেশের ইউটিউবাররা ক্ষতির মুখে পড়বেন?
নতুন এই নীতিমালা বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি করলেও তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন মনে করেন এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ
মি. স্বপন বলেন, "আমি মনে করি এতদিন ইন্টারনেটে যতগুলো ভালো কাজ হয়েছে এটি তার মধ্যে একটি
মি. স্বপন বলেন, "আমরা অনেক সময়ই আরেকজনের তৈরি করা গান বা ভিডিও শেয়ার না করে ডাউনলোড করে আপলোড করে দেই
এই আইন বলবৎ করা হলে সেই অরাজকতা থামবে এবং একইসাথে সৃজনশীল কাজ করা শিল্পীরা এই আইনের মাধ্যমে তাদের মেধাস্বত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন
তবে যেই ওয়েবসাইটগুলো ৩ বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ১০ মিলিয়ন ইউরোর নিচে এবং মাসিক ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ নতুন ব্যবহারকারী নেই - সেসব ওয়েবসাইট এই আইনের আওতাধীন হবে না বলে জানান মি. স্বপন
কিন্তু এই আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ইন্টারনেট ভিত্তিক মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
"এই আইনের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে গুগল এবং ইউটিউব
কারণ তারাই পৃথিবীতে ওপেন ইন্টারনেটের নামে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছে - যেটি তাদের ব্যবসার মডেলের মধ্যেই পড়ে
মি. স্বপন বলেন, "এখানে বলে রাখা ভাল যে উইকিপিডিয়াকে এই আইনের আওতায় রাখা হয়নি
এই আইনের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে ইউটিউব
মি. স্বপন মনে করেন নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এই আইনের বিরোধিতা করছে তারা
"যে ব্যক্তি নিজে কিছু তৈরি করছে, তার কন্টেন্ট তো বাধা দেয়া হচ্ছে না
যারা ঐ একই কন্টেন্ট নিয়ে আবারো পোস্ট করছে তাদের বাধা দেয়ার জন্য এই আইন
তবে এই আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশের অনেকেই ইউটিউব চ্যানেলে কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বেন বলে মনে করেন মি. স্বপন
"বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কন্টেন্টকে সামান্য পরিবর্তন করে আবারো আপলোড দেয়া হয় এবং সেসব ভিডিও থেকে অনেকেই অর্থ উপার্জনও করছেন
"নতুন আইন বলবৎ হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন
তখন অরিজিনাল ভিডিওই শেয়ার করতে হবে
বাংলাদেশের মত যেসব দেশ সদ্যই ডিজিটাল পথে হাঁটতে শুরু করেছে সেসব দেশে এই আইনের প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করেন মি. স্বপন
"যেহেতু আমাদের নিজেদের কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই এবং আমরা বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নির্ভরশীল, তাই আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিশাল একটা অংশ কপিরাইট করা কন্টেন্টের ওপরই নির্ভরশীল
এই ব্যবহারকারীদের এখন নতুন নীতিমালার অধীনে আসতে হবে এবং কপিরাইট সংক্রান্ত আইনকে সম্মান করে চৌর্যবৃত্তির প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মি. স্বপন
হজ ও ওমরা পালনকারীদের মদিনা আসার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- নবী করিম (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করা, রওজায় সালাম পেশ করা
এই পবিত্র ভূমি মদিনার মসজিদে নববীতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা.)
নবীজি যে ঘরটিতে স্ত্রী আয়েশা (রা.) কে নিয়ে বসবাস করতেন সে ঘরটিতে মৃত্যুর পর তাকে দাফন করা হয়
রাসূলের রওজার পাশে ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.) ও ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর কবর
পাশে আরেকটি কবরের জায়গা খালি
এখানে হযরত ঈসা (আ.)-এর কবর হবে
এ কারণে হজপালনের আগে কিংবা পরে হাজিরা মদিনা শরিফ আসেন
মদিনায় অবস্থানকালে হাজিদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হচ্ছে, মসজিদে নববিতে হাজিরা দেওয়া এবং সেখানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
মসজিদে নববিতে এক রাকাত নামাজের সওয়াব পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সমান
এছাড়া মসজিদে নববীতে বিরতিহীনভাবে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের আলাদা ফজিলত রয়েছে
সুদীর্ঘ ৭০০ বছরেও নবীজির রওজার মূল দরজা খোলা হয়নি
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আবেগ এতটাই বেশি যে নবীজির রওজার দরজা খোলা থাকলে ধুলোবালিও নিয়ে যেতো
তাই নবীজির রওজা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বেশ খানিকটা দূর থেকে রওজা জিয়ারতের সুযোগ দেন
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী নবীজির রওজা মোবারক নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে
বিভিন্ন দেশে নবীজি ও খলিফাদের ভুয়া রওজার ছবি দেখিয়ে অবৈধ অর্থ রোজগারের অপচেষ্টা চলছে
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কারও কাছে মাথা নত করা উচিত নয় বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন
তাছাড়াও রওজা শরীফ সর্ম্পকে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হয়রত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে আর কোনো নামাজ কাজা করেনি, সে নিফাক (মোনাফিকি) আর দোজখের আজাব থেকে নাজাত পাবে
হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের ফজিলত প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর তার রওজা মোবারক জিয়ারতে করলো, সে যেন রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জীবদ্দশায় দশন করলো
মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনেকগুলো দরজা রয়েছে
এর মধ্যে পশ্চিম পাশে রাসূলের রওজা জিয়ারতের জন্য যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়, ওই দরজাকে 'বাবুস সালাম' বলা হয়
বাবুস সালাম দিয়ে প্রবেশ করে রাসূলের রওজায় সালাম শেষে 'বাবুল বাকি' দিয়ে বের হতে হয়
মদিনায় জিয়ারতে হাজীদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়
কারণ মদিনায় এসে দুনিয়ায় জীবিত থাকতে জান্নাতে ভ্রমণের সুযোগ মেলে
কারণ নবী করিম (সা.)-এর রওজা শরিফ এবং এর থেকে পশ্চিম দিকে রাসূলে করিম (সা.)-এর মিম্বর পযন্ত স্বল্প পরিসরের স্থানটুকুকে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়
এটি দুনিয়াতে একমাত্র জান্নাতের অংশ
এই স্থানে স্বতন্ত্র রঙয়ের কার্পেট বিছানো থাকে
এই স্থানটুকু সম্পর্কে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার রওজা ও মিম্বরের মধ্যবতী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান
এখানে প্রবেশকরা মানে জান্নাতে প্রবেশ করা
বস্তুত দুনিয়ার সব কবরের মধ্যে সর্বোত্তম ও সবচেয়ে বেশি জিয়ারতের উপযুক্ত স্থান হলো- রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক
তাই এর উদ্দেশে সফর করা উত্তম
এ কথার ওপর পূর্বাপর সব উলামায়ে কেরামের ঐকমত্য রয়েছে
আন্তর্জাতিক
1
মসজিদে নববী উন্মুক্ত করে দিল সৌদি সরকার
আন্তর্জাতিক
19, 2021
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান
ইসলামের কথা