content
stringlengths 0
129k
|
---|
হামাগুড়ি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে এলেন মোর্শেদা |
কুমিল্লার বরুড়ায় ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও এসআই ছুরিকাঘাতে আহত |
মুরাদনগরে মাটি কাটার অর্ধশতাধিক মেশিন ও ২৬ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস |
কাউন্সিলর সোহেল-হরিপদ হত্যাকাণ্ড : রকি ও আলম গ্রেপ্তার |
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে সন্ত্রাসীদের নামের তালিকা দিয়েছিলেন আরফানুল হক রিফাতের হাতে |
বাংলাদেশও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করতে যাচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী |
সোহেল-হরিপদ হত্যাকাণ্ড : এজহার নামীয় ছয় আসামীর বিরুদ্ধে রয়েছে অস্ত্র মাদক সন্ত্রাসসহ একাধিক মামলা [ঘটনার ছায়া তদন্তে র্যাব সিআইডি পিবিআই] |
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ভাসানী পরিবার |
কাউন্সিলর সোহেল হত্যা : খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে ১৭ নং ওয়ার্ডবাসীর মানববন্ধন |
বরুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন |
দেশে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত |
পিস্তলের ৯ গুলিতে কাউন্সিলর সোহেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে চার ঘাতক |
বরুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত মেম্বার প্রার্থীর অবস্থা সংকটাপন্ন |
কাউন্সিলর সোহেল হত্যা : খুনি চেনার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন গুলিবিদ্ধ বাদল |
কুমিল্লা লালমাইয়ের বিশিষ্ট দ্বীনি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব সুলতান আহমেদ তহশীলদারের দশম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত |
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীসহ দেশের মোট ৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো প্রসূন রহমানের স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র 'ঢাকা ড্রিম' |
আভ্যন্তরীন বাস্তুচ্যুতি, জীবিকার প্রয়োজন ও উন্নত জীবনের আশায় ঢাকামুখি প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প নিয়ে নির্মিত 'ঢাকা ড্রিম' |
সিনেমাটি রাজধানীর প্রধান প্রধান সিনেপ্লেক্স সহ মুক্তি পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের দুটি প্রেক্ষাগৃহে |
প্রসূন রহমান চ্যানেল আই অনলাইন জানিয়েছেন, রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স এর বসুন্ধরা ও সনি সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও শ্যামলীসহ নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ এবং কিশোরগঞ্জ কুলিয়াচরের রাজ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে 'ঢাকা ড্রিম' |
এরআগে সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা জানান, 'উন্নত জীবনের সন্ধানে অসংখ্য কারণে আমাদের অনেকের ঢাকা শহরে আসতে হয় |
এরমধ্য থেকে আমরা দশটি উল্লেখযোগ্য কারণ 'ঢাকা ড্রিম' সিনেমায় দেখানোর চেষ্টা করেছি |
বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা শহরে আসছেন, এবং প্রত্যেকেই কোনো না কোনো স্বপ্ন নিয়ে এই শহরে এসেছেন |
সেইসব স্বপ্নগুলোই ক্যামেরার চোখ দিয়ে দেখবার চেষ্টা আছে এই সিনেমায় |
এমনটাই জানালেন নির্মাতা |
যৌনকর্মী, ছাত্র, স্বল্পশিক্ষিত বেকার, অন্ধ ভিক্ষুক, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, খুনি, রিকশাচালক, নরসুন্দর, রিয়েলিটি শোর প্রতিযোগী এবং নদীভাঙনে গৃহহারা পরিবারের ছায়াদের গল্প নিয়ে নির্মিত 'ঢাকা ড্রিম' |
যারা প্রত্যেকেই দেখছে গ্রাম থেকে জাদুর শহর ঢাকায় আসার স্বপ্ন- যার যার অবস্থান থেকে |
ছবিতে আয়নাল ফকির নামের রহস্যময় এক অন্ধ ভিক্ষুকের চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু |
এছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু, শাহাদাত হোসেন, জয়ীতা মহলানবীশ, পূর্ণিমা বৃষ্টি, আবদুল্লাহ রানা, হিন্দোল রায়, শাহরিয়ার সজীব, নাইরুজ সিফাত, ইকবাল হোসেন, সুজাত শিমুল, আরশ খান, সায়মা নীরা এবং প্রয়াত এসএম মহসীন সহ আরো অনেকে |
চলচ্চিত্রটির সংগীতায়োজনে রয়েছেন বরেন্য শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ |
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৫ রান |
চলতি আসরে বাংলাদেশের সেরা শুরু |
প্রথম ওভারেই নাঈম শেখতে হারিয়ে বসার পর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান নিচ্ছিলেন টেনে |
লিটন ফিরে গেছেন দশ ওভারের আগেই |
পরে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম |
বৃহস্পতিবার বাঁচা-মরার ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ |
ওমান ম্যাচের জয়ী একাদশ অপরিবর্তিত রেখে নেমেছে বাংলাদেশ |
আল আমেরাত স্টেডিয়ামে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০.২ ওভারে ৭২ রান তুলেছে বাংলাদেশ |
সাকিব ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শূন্য রানে ব্যাট করছেন |
মুশফিকুর রহিম ৮ বলে ৫ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন |
ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তোলা নাঈম পরের বলে শূন্য রানে ফিরে যান ক্যাচ দিয়ে |
লিটন বাজে ফর্ম কাটিয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছিলেন |
একটি করে ছয়-চারও মারেন, কিন্তু ২৯ রানের বেশি আগাতে পারেননি, ২৩ বলের ইনিংস তার |
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে চাপে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে জিতে পথে ফেরে |
যদিও বিপদ কাটেনি |
মূলপর্বে যেতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জিততেই হবে সমীকরণের সামনে টিম টাইগার্স |
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২০টিম টাইগার্সপাপুয়া নিউগিনিবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলবাংলাদেশ-পাপুয়া নিউগিনি টি-টুয়েন্টিমাহমুদউল্লাহলিড স্পোর্টস |
আর এজন্যই মহানবী যখন প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ্পাকের ওয়াহ্দানিয়াতের দাওয়াত পৌছে দেওয়ার জন্য সাফা পর্বতের চূড়ায় উঠে মক্কাবাসিকে বলেছিলেন 'কুলু লা ইলা হা ইল্লাল্লাহু' অর্থাৎ বলো, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ বা মা'বুদ নেই |
আল্লাহ্র হাবিব কিন্তু সেদিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ-এর দাওয়াত দেননি |
প্রশ্ন আসতে পারে কেন? কারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লার দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব মহানবীর আর মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্র দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্পাক নিজে গ্রহণ করেছেন |
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজিম |
এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীমে অসংখ্য দলিল রয়েছে |
আমি একটি দলিলের কথা উল্লেখ করছি, যেখানে মহান রাব্বুল আলামিন শুধু মহানবীর পক্ষেই দাওয়াত দেননি বরং তাঁর সাহাবীদের ভূয়ষি প্রশংসা করে নজির বিহীন দলিল উপস্থাপন করেছেন |
আল্লাহ্পাকের ঘোষণা, "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ওয়াল লাজিনা মায়াহু আশিদদায়ু আলাল কুফফারি রুহামায়ু বাইনাহুম তারাহুম রুক্কায়াং সুজ্জাদাই ইয়াবতাগুনা ফাদলাম মিনাল লাহি ওয়া রিদওয়ানা সি মাহুম ফি অুজুহিহিমি মিন আসারিস্ সুজুদ যালিকা মাসালুহুম ফিত্তাওরাত ওয়া মাসালুহুম ফিল ইঞ্জিল |
" অর্থাৎ "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম আল্লাহ্পাকের রাসুল এবং তাঁর সাহাবীরা কাফেরদের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠিন কিন্তু নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল, হে শ্রবণকারী তুমি তাঁদেরকে দেখতে পাবে কখনও রুকু করছে কখনও সেজদাহ্ করছে আর মহান আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্টি কামনায় প্রাণান্তর চেষ্টা করে চলেছে, তাঁদের মুখমন্ডলে আমাকে সেজদা করার চিহ্ন স্পষ্ট ফুঁটে আছে, আর তাওয়াত ও ইঞ্জিলেও তাঁদের গুণাবলীর বর্ণনা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে |
তাহলে আমরা জানতে পারলাম মহানবী নবুয়তের তৃতীয় বছরে প্রকাশ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এর দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন আর মহান আল্লাহ্পাক মহানবী দুনিয়াতে আসার হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই তাঁর হাবিবের রাসুল হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন |
এ পর্যায়ে আরো একটি বিষয়ে আমি সমাধানে পৌছাতে সক্ষম হলাম যে বিষয়টি দীর্ঘ দিন আমার সমাধানের বাইরে ছিলো, আর তা হচ্ছে জান্নাতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার অথবা ২ লক্ষ ২৪ হাজার অথবা ৩ লক্ষ ২৪ হাজার নবী রাসুলগণের মধ্য থেকে একটি মাত্র সংখ্যা বিয়োগ করলে যেই সংখ্যাটি বের হয় |
সেই সংখ্যার সকল নবী রাসুলগণের উম্মতের মোট সংখ্যা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম এর উম্মতের মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও কম হবে |
সুবহানাল্লাহ্ |
প্রশ্ন হলো কেন? এবার এক কথায় উত্তর দেব, লক্ষ লক্ষ নবীগণের নবুওতের দাওয়াত তাঁরা নিজেরা দিয়েছেন আর মহানবীর নবুয়তের দাওয়াত স্বয়ং আল্লাহপাক দিয়েছেন তাই জান্নাতিদের মধ্যে মহানবীর অনুসারীদের সংখ্যা এত ব্যাপক |
আজ আর দীর্ঘ করব না, শুধু একটা পরিষ্কার মেসেজ দিতে চাই, মহানবী মানে মহানবী, মহানবীর সমপর্যায়ে কেউ নেই |
তিনি এক এবং অদ্বিতীয় |
তাঁর প্রথম জন্ম নুরের দ্বারা, তাঁর দ্বিতীয় জন্ম মানুষের ঔরশে |
তিনি যেমন নূরের সৃষ্টি তেমনি আবার মাটি, পানি, আগুন ও বাতাসের সৃষ্টি |
অত:পর বলবো তিঁনি যদি নূরের সৃষ্টি না হতেন? তাহলে কখনও তিঁনি স্বশরীরে দুনিয়ার জমিন থেকে সপ্তম আসমান পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করে, ৭০ হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে তীর-ধনুকের দূরত্বে অথবা তার চেয়েও নিকটে মহান আল্লাহ্পাকের সামনে উপস্থিত হতে পারতেন না |
অবশেষে মহাপবিত্র কুরআনুল কারীম সম্পর্কে বলবো কুরআনুল কারীম সরাসরি মহান আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ |
আল্লাহ্পাক তাঁর নিজের নূর থেকে কুরআনুল কারীমকে বিচ্ছিন্ন করে সীদরাতুল মুনতাহাকে অতিক্রম করে লওহে মাহ্ফুজে প্রথম নাজিল করেন পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ শবে বরাতের রাতে |
ফেরেশতারা নূরের তৈরি কিন্তু মহান আল্লাহ্পাকের নূরের সাথে তাঁদের নূরের কোন সম্পর্ক নেই |
তাই তাঁরা কোন অবস্থাতেই সীদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করতে সক্ষম নন |
কেননা সীদরাতুল মুনতাহার পরবর্তী জগত মহান আল্লাহ্পাকের নিজস্ব জগত |
সেখানে শুধুই মহান আল্লাহ্পাকের জাতি নূরের অবস্থান |
এই অবস্থান থেকে মাত্র দুটি সত্ত¡া সীদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করে, আমাদের মাঝে এসেছেন |
মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে অনন্ত কোটি শোকরিয়া এজন্য যে, তিনি আমাদের নিজ করুণায় তাঁর হাবীবের উম্মতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন |
পবিত্র কুরআনুল কারীমকে আল্লাহ্পাক দুইবারে নাজিল করেছেন প্রথমবার পবিত্র শাবান মাসে "লওহে মাহ্ফুজে" এখানে বলে রাখা প্রয়োজন হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এর সাথে 'লওহে মাহফুজে' কুরআন নাজিলের বিষয়ে কোন সম্পর্ক নেই |
অর্থাৎ মহান আল্লাহ্পাক তাঁর নিজস্ব হেকমতে 'লওহে মাহফুজে' কুরআনকে হেফাজতে রেখেছেন |
অনুরুপভাবে মহানবীকে আল্লাহ্পাক তাঁর নিজস্ব নূর থেকে সৃষ্টি করে, তাঁর নিজস্ব নূরের জগতে কোটি কোটি বছর রেখে দিয়েছিলেন |
পরবর্তীতে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের দোয়ায় বদৌলতে মহান আল্লাহ্পাক মহানবীকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন |
আর এ জন্যই মহানবী দুরুদে ইব্রাহীমির মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে জাগ্রত রেখেছেন |
আমার পক্ষ থেকে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের প্রতি রইল হৃদয় উজাড় করে দেওয়া শ্রদ্ধা, সম্মান ও অনন্ত কোটি সালাম |
বলছিলাম, কুরআনুল কারীমের প্রথম নাজিলের বিষয়ে |
যেহেতু কুরআনুল কারীম সরাসরি মহান আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ, তাই এই কুরআনুল কারীমকে যিঁনি গ্রহণ করবেন, তিঁনিও যুক্তিসংগতভাবে হবেন আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ |
মহানবীকে যদি মহান আল্লাহ্পাক শুধুমাত্র নূরের সুরতে দুনিয়াতে প্রেরণ করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া নূরের তাজাল্লিতে জ্বলেNপুড়ে ছাই হয়ে যেত! সংগত কারণে মহান আল্লাহ্পাক মহা হেকমত প্রদর্শন করলেন |
তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্র ঐরশে মা আমেনার গৃহে মানব আকৃতিতে মহানবীকে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন আর এরই সাথে মহান আল্লাহ্পাক তাঁর সৃষ্টি জগতের সকল বিষয়ের পরিসমাপ্তি টানলেন |
পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে মহানবী দুনিয়াতে পা রাখলেন, ঠিক তার চল্লিশ বছর পর, পবিত্র রমজান মাসে দুনিয়াতে প্রথম কুরআনুল কারীম নাজিল হয় |
পাঠকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উপর তাওরাত এবং হযরত ঈসা আলাইহিস সালামN এর উপর ইঞ্জিল নাজিল হয় একবারে কিন্তু আমাদের মহানবীর উপর কুরআন দীর্ঘ তেইশ বছর ব্যাপী নাজিল হলো কেন? এর দুটি উত্তর (১) নূরের জগতে নূরে মুহাম্মাদীর উপর নুরুল কুরআন একবারেই নাজিল করা হয়েছে |
(২) যেহেতু মহান আল্লাহ্পাকের নিকট মহানবীর মোকাবেলায় কোন কিছুই অধিক মূল্যবান নয় সেহেতু মহানবীর সুবিদার্থে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়বার দুনিয়াতে নাজিল করা হয় |
উপসংহারে আমরা বুঝতে পারলাম, মহান আল্লাহ্পাক, মহানবী এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত |
এ পর্যায়ে যারা আমাকে কাফের ফতোয়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের সুবিদার্থে বলছি, মহান আল্লাহ্পাক হলেন ্̄রষ্টা, আর মহানবী হলেন আল্লাহ্পাকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি |
মানুষ যাতে ভুল করে মহানবীর শ্রেষ্ঠত্বের মাঝে কোন বিতর্ক তৈরি করতে না পারে, সেজন্য মহান আল্লাহ্পাক আয়াতুল কুরসির মাধ্যমে তাঁর পরিচয় দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং তিনি মহানবীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আপনি বলুন, আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ স্বয়ংসম্পূর্ণ, তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি এবং কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই |
অর্থাৎ মহানবী মহান আল্লাহ্পাকের নূরের তৈরি হলেও তিনি মূলত আল্লাহ্পাকের সবচাইতে বিস্ময়কর সৃষ্টি |
দুনিয়াতে মহানবীর পরিচয় মুহাম্মদ নামে, আসমানে মহানবীর পরিচয় আহ্মদ নামে আর সীদরাতুল মুনতাহার পরে মহানবীর পরিচয় হচ্ছে 'আবদ' তাই তো মহান আল্লাহ্পাক ঘোষণা করেছেন, সুবহানাল্লাজি আসরা বি আবদিহি..... ইলা আখের |
প্রশ্ন আসতে পারে মহানবীকে মহান আল্লাহ্পাক কেন আবদ বলে স¤েœাধন করলেন? এর উত্তর হচ্ছে নবী-রাসুলগণের সংখ্যা লক্ষাধিক কিন্তু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম ছাড়া কোন নবী-রাসুলকে আল্লাহ্পাক "আবদ" নামে অভিহিত করেন নি |
কারণ "আবদ" শব্দটা মহান আল্লাহ্পাকের সবচাইতে প্রিয় শব্দ আর সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিত্বকে সবচাইতে প্রিয় নামে স¤েœধান করার ইচ্ছাতো সবার মধ্যেই থাকে |
মহানবীকে মহান আল্লাহ্পাক যাঁর মাধ্যমে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন, তাঁর নাম আব্দুল্লাহ্ |
সুবহানাল্লাহ্ |
কেননা "আবদ" শব্দ থেকেই আব্দুল্লাহ্ শব্দের উৎপত্তি |
আমার জানা মতে মহানবীই পৃথিবীতে একমাত্র নবী, যাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ্ |
পবিত্র কুরআনুল কারীম হচ্ছে মহানবীর শ্রেষ্ঠ মোজেজা! আর মহানবী নিজে আল্লাহ্পাকের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন! কুরআনুল কারীমকে জানলে যেমন মহানবীকে জানা যায়, তেমনি মহানবীকে জানলে মহান আল্লাহ্পাককে জানা যায় |
সম্মানিত পাঠকদের বোঝার সুবিদার্থে বলছি, মহানবীর ঘোষণা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না, প্রশ্ন হলো কেন? এক কথায় উত্তর, মহানবীর নির্দিষ্ট কোনো রূপ নেই! যদি থাকতো তাহলে জমিনে তাঁর ছায়া পড়ত |
বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য বলছি, মহান আল্লাহ্পাক সুরা ওয়াকিয়ায় ঘোষণা করেছেন, মানুষের মৃত্যু লগ্নে তিঁনি উপস্থিত থাকেন |
কিন্তু মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তি তাঁকে দেখতে পান কিনা এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু বলেন নি |
Subsets and Splits
No saved queries yet
Save your SQL queries to embed, download, and access them later. Queries will appear here once saved.