document_id
stringlengths
36
36
text
stringlengths
253
70.2k
c0574fbd-c412-4333-bb33-798636eba49f
বিপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দু’দলেই তারকা খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। মঙ্গলবার মিরপুরে ম্যাচটি শুরু হবে বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায় কুমিল্লা। অন্যদিকে, গেইল ফেরায় শক্তি বেড়েছে রংপুরের। জয় ভিন্ন অন্যকিছু ভাবছেনা তারাও। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হার দিয়ে। পরের ম্যাচেই খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে ফিরেছে ছন্দে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখার মিশনে রাইডাররা পাচ্ছে সমৃদ্ধ ব্যাটিং বিভাগ। যুক্ত হয়েছেন ক্যারবিয়ান দানব ক্রিস গেইল। ফর্ম দেখাচ্ছেন রাইলে রুশু, রবি বোপার। অন্যদিকে, প্রত্যাশিত শুরু পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগী কুমিল্লা। অধিনায়ক স্মিথের নেতৃত্বে ব্যাট হাতে একঝাঁক সেরা ব্যাটসম্যান তামিম, ইমরুল, লুইস, বিজয়, আফ্রিদি, মালিকদের। পেস বিভাগে ত্রাস ছড়াতে হবে রনি, সাইফুদ্দিন, শহিদদের। সব কৌশল কাজে লাগিয়ে জয়ের ধারায় থাকতে মুখিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লা আসরে প্রথম ম্যাচে জিতেছে। আর দুই ম্যাচে একটিতে জয় রংপুরের।
b0e74987-afb0-4517-8395-e071c68dee09
সংবাদ ডেস্ক: সাশ্রয়ী মূল্যে সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছানোটাই হবে আমাদের এবারের প্রথম কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নতুন মেয়াদে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) প্রথম অফিস চলাকালীন তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণদের দাবি, তারা কম দামে ইন্টারনেট পেতে চায়। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। আমরা সেই দাবি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ‘গ্রামকে করা হবে শহর’ উল্লেখ করে পলক বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। গ্রামের একজন মানুষ এসব সেবা পেতে যদি শহরে আসেন তাহলে বৈষম্য কখনও দূর হবে না। গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে তবেই না গ্রাম হবে শহর। আমরা এবার এ বিষয়ে বেশি জোর দেবো। মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও এর অধীনস্থ সংস্থা, অধিদফতর ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ সভাপতিত্ব করেন।
a9cca698-79ad-415d-80e5-420e59a07f60
সংবাদ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ট্র্যাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে ৩ টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো, একটি জাতীয় সংলাপ, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে মামলা এবং দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সফর।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে নেতারা সফর করবেন। এর মাঝে ১ সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে একজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।’ ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করবো।’ সেই আন্দোলনের জন্য ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক নিয়মিত হবে বলেও তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
d456b283-56af-44b8-9f30-9c9816d74190
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট একসাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের বেশিরভাগ নেতা নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার করে। তবে কোন কোন দলের নেতা তাদের দলের নিজস্ব প্রতীক ব্যবহার করেও নির্বাচন করেন। দলগুলো বলছে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জন্য তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পরে এই ঐক্যফ্রন্ট কি সরকার বিরোধী একটা বড় জোটের ভূমিকা নিতে পারবে? নির্বাচনে প্রায় আড়াই মাস আগে, ২০১৮ সালের ১৩ই অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমমনা রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তৈরি হয়। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন গণফোরামের ড. কামাল হোসেন। নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং বড় একটা অংশ ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। এরপরে তারা একত্রে নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনে সব মিলিয়ে মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। জাতীয় সংসদে বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন তাদের নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানালেও, পরে তারাও শপথ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাহলে ঐক্যফ্রন্ট কি সরকার বিরোধী জোট হয়ে উঠতে পারবে? নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলছিলেন, তারা যে লক্ষ্য এবং দাবি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন তার কোনটাই পূরণ হয়নি। তাই তারা এখনো পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত বলে মনে করছেন। মি. মান্না বলছিলেন “এখন পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে ঐক্যের সুরটাই আছে। আমরা মনে করছি গণতন্ত্রের এই দাবীগুলোর জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকাই উচিত। কারণ সেগুলোর কোনটাই অর্জিত হয় নি”। নির্বাচনের সময় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর নেতারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের কোন কোন দল তাদের নিজের প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, ২০ দলীয় জোটের সাথে তারা কখনো ঐক্যবদ্ধ হননি। তাদের সাথে জোট করবেন না বলে তারা জানান। তিনি বলছেন, “২০ দলীয় জোটের সাথে আমরা কখনই ঐক্যবদ্ধ হয় নি। এটা ঠিক আমরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম কিন্তু তাদের ২০ দলীয় জোট তাদের সাথে বিতর্ক হয়েছে সেটা তাদের ব্যাপার।” “কিন্তু আমাদের সাথে তাদের জোট বাধা উচিত নয়, সেটা করছি না”। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আরো বিস্তৃত করার জন্য বিভিন্ন বাম দল এবং ২০ দলের কিছু কিছু নেতার সাথে তারা কথা বলবেন বলে তিনি জানান। ঐক্যফ্রন্টের এই অবস্থান কিভাবে দেখছে বিএনপি? “সেই কর্মসূচী পালন করার মধ্যে দিয়েই যারা বন্ধু হিসেবে পাশে আছেন বা দুরে আছেন তারা এক জায়গায় আসতে পারবে বলে আমর দৃঢ় বিশ্বাস।” এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ২টি আসনে এবং বিএনপি ৫ টি জয়ী হয়। প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুইজন শপথ নেয়ার কথা বললেও পরে সেটা তারা বাতিল করে। এরমধ্যে সংসদে বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ২২ আসনে জয়ী হওয়া জাতীয় পার্টি। এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের যদি বিএনপির ২০ দলীয় জোটের প্রতি অস্বস্তি থাকে তাহলে সরকার বিরোধী জোট হিসেবে দাঁড়ানো কতটা সম্ভব? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনীতির বিশ্লেষক রুকসানা কিবরিয়া বলছিলেন যদি ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নেতৃত্বে জোটগুলোর সরকারি বিরোধী জোট হিসেবে টিকে থাকতে হয় তাহলে তাদের মতবিরোধ গুলো মিটিয়ে ফেলতে হবে প্রথমে। তিনি বলছেন, “যদি সরকার বিরোধী একটা জোট হিসেবে টিকে থাকতে চায়, একটা সফল আন্দোলন করতে চায় তাহলে তাদের মধ্যে যে মত বিরোধ আছে সেটা তো মিটিয়ে ফেলতে হবেই।” “সব দলের মধ্যে মত বিরোধ থাকে এটা বড় কোন সমস্যা না। কিন্তু সেই মতবিরোধ আদৌ মিটাতে পারবে কিনা সেটাই বড় বিষয়”। রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার বিরোধী জোট হিসেবে দাঁড়াতে হলে তাদেরকে স্বার্থের ঊর্ধ্বে যেয়ে চিন্তা করলে সেটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঐক্যফ্রন্টের তিন কর্মসূচী মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর তিনটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শীঘ্রই জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দ্রুত মামলা করা এবং নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব এলাকার নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকা সফর করা। সূত্র: বিবিসি।
e7923c75-c9c3-49ea-922b-c9bbe62b85c0
স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের সুনীল ছেত্রি ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড বই এ ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন। কীভাবে? ভিন গ্রহের খেলোয়াড় বলে আখ্যা দেয়া লিওনেল মেসিকে তিনি গোলের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন। এই মূহুর্তে সক্রিয় আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদোর পরেই তার স্থান, ইতিমধ্যেই পেছনে ফেলে দিয়েছেন মেসিকে। ইতিমধ্যেই ১০৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তিনি ৬৭টি গোল করেছেন। মেসির গোল সংখ্যা ৬৫টি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় পায় ভারত। এশিয়ার কাপে ৫৫ বছরের মধ্যে প্রথম কোন ফুটবল ম্যাচ জিতলো ভারত, সুনীল ছেত্রির কল্যানে। এই ম্যাচে করা দুটি গোলের মাধ্যমেই মূলত তিনি মেসির রেকর্ডটি ছাড়িয়ে যান। বস্তুত এই ম্যাচের পরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছেত্রিকে নিয়ে কৌতুহল ও আগ্রহ জাগতে শুরু করে। তবে শীর্ষস্থানে রয়েছেন পর্তুগীজ সুপারস্টার রোনালদো, ১৫৪ ম্যাচে যিনি ৮৫টি গোল করেছেন। শুধু এই রেকর্ডই নয়, ছেত্রি ঢুকে পড়েছেন সর্বকালের সেরাদের দলেও, যেখানে তিনি দিয়ের দ্রগবা, রোনালদো (ব্রাজিল) এবং য্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে ছাড়িয়ে গেছেন। কিন্তু কে এই ছেত্রি? ভারতের বেঙ্গালুরুর যে ক্লাবে ছেত্রি খেলেন, সেখানে সবাই তাকে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক বলে ডাকেন। এতদিন পর্যন্ত ভারতের জাতীয় দলেই খেলেছেন ৩৪ বছর বয়েসী ছেত্রি, কদর যেটুকু পাবার তাও ওখানেই সীমাবদ্ধ। ২০০৫ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন। সেটাও ছিল ঐতিহাসিক এক ঘটনা, কারণ তার গোলটি দিয়েই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কোন ফুটবল ম্যাচে প্রথম গোলের খাতা খুলেছিল ভারত। ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত দুই প্রতিবেশী দেশ পরস্পরের সঙ্গে কোন ফুটবল ম্যাচ খেলেনি। তবে সেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ক্রমে ছেত্রি হয়ে ওঠেন ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। সাম্প্রতিক সময়ের যেকোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ছেত্রির পারফর্ম্যান্সই সবচেয়ে ভালো ও ধারাবাহিক। ২০০৯ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ছেত্রি চার গোল করেছিলেন। এখন পর্যন্ত ১০৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ম্যাচ প্রতি ছেত্রির গড় গোল ০.৬৩টি। ঘরোয়া ফুটবলে ছেত্রির গড় একটু কম অবশ্য। তবে, ভারতীয় ফুটবল থেকে কিছুদিন তিনি বাইরেও ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস সিটি উইজার্ড এবং স্পোর্টিং লিসবন এও কিছুকাল খেলেছেন তিনি। তবে, সেসব ক্লাবে সাফল্য তেমন পাননি। ছেত্রি ভারতের অল্প সংখ্যক ধারাবাহিক সাফল্যের মুখ দেখা খেলোয়াড়। সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি থাকলেও ২০১৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ইন্টারকন্টিনেনটাল কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত চাইনিজ তাইপেকে ৫-০ গোলে জেতে, যেখানে ছেত্রি হ্যাট্রিক করেন। মাঠ থেকে ভক্তদের খেলা দেখতে আসতে অনুরোধ জানিয়ে করা ছেত্রির একটি ভিডিও সেসময় ভাইরাল হয়। টুইটারে পোস্ট করেছিলেন তিনি ভিডিওটি। পরে সেটি শচীন টেন্ডুলকার এবং ভিরাট কোহলির মত তারকারাও রিটুইট করেন, আর ফল হিসেবে পরের দুই ম্যাচে মাঠে দর্শকের সংখ্যা বহুগুন হয়ে গিয়েছিল।-বিবিসি
f5316069-0e95-40a9-ba41-e52492a4de0e
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর গত বছর বিশ্বজুড়ে সৌদি আরবের প্রশংসা করা হয়। কিন্তু দেশটিতে নারীদের ওপর এখনও অনেক ধরনের বিধিনিষেধ চালু আছে। এর অন্যতম হচ্ছে ‘পুরুষ অভিভাবকতন্ত্র’ যেখানে একজন নারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তিনি নিজে নিতে পারেন না। তার পক্ষ হয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধুমাত্র তার বাবা, ভাই, স্বামী কিংবা ছেলে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা, যখন এক সৌদি তরুণী বাড়ি থকে পালিয়ে ব্যাংককে গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দরের এক হোটেলে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাকে যদি বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়, বলছেন তিনি, তাহলে তার জেল হতে পারে। একজন সৌদি নারীকে তার পাসপোর্টে আবেদনের জন্য, বিদেশে যাওয়ার জন্য, সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়াশুনার জন্য, বিয়ে করার জন্য, এমনকি কারাগার ছেড়ে যাওয়ার জন্যও তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। “এটা এমন একটা বিষয় যা প্রত্যেক সৌদি নারী এবং মেয়েকে জন্ম থেকে আমৃত্যু ভোগায়,” বলছিলেন মিশরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক মোনা এলতাহাউই, “এর মাধ্যমে নারীকে মূলত একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে দেখা হয়।” সৌদি আরব নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সনদে সই করেছে। সৌদি সরকার বলে থাকে শরিয়া আইনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পারস্য উপসাগরের এই রক্ষণশীল রাজতন্ত্র নারী ও মেয়ে শিশুদের খেলাধুলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি নারীদের স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল খেলা উপভোগেরও অনুমতি দিয়েছে। তবে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য রোধে কোন আইন না থাকায় এবং সৌদি সরকার বৈষম্যের কোন আইনগত সংজ্ঞা তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সৌদি পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থাকে সমাজ ও দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।এই পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা কোরানের আয়াত থেকে চালু করা হয়েছে বলে বলা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০১৬ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৌদি আরবে স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষভাবে অভিভাবকত্ব আইন প্রয়োগ করা হয়।” এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বেশ ক’জন নারীকে বিচার করা হয়েছে এবং জেলে পোরা হয়েছে। সৌদি মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাউই তার বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০০৮ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং এক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। এরপর বাবার অভিভাবকত্ব বাতিলের জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার বাবাও মেয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করে বলে সামার বাবার অবাধ্য মেয়ে। এক সৌদি আদালত ২০১০ সালে সামার বাদাউইকে কারাদণ্ড দেয় এবং তিনি সাত মাস আটক ছিলেন। সৌদি মানবাধিকার কর্মীরা বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। পিতার অবাধ্যতার অভিযোগে মারিয়াম আল ওতাইবি নামে আরেক সৌদি নারীকেও ২০১৭ সালে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সৌদি নারী অধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। “সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা চায় না” বলে টুইটারে বড় ধরনের এক আন্দোলন শুরু হয়। এই প্রথা বাতিলের দাবি করে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি বাদশাহর দরবারে ১৪,০০০ স্বাক্ষরসহ এক আবেদন পেশ করা হয়। কিন্তু সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুলআজিজ আল শেখ ঐ আবেদনপত্রকে ‘ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং সৌদি সমাজ ব্যবস্থার ওপর ‘মরণ আঘাত’ বলে বর্ণনা করেন। তবে পাঁচ মাস পর সৌদি বাদশাহ এক আদেশ জারি করেন যেখানে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকত্ব প্রথার প্রয়োজন হবে না বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে নারীদের গাড়ি ড্রাইভিং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে সৌদি আরবে নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের ধরপাকড় শুরু হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি শক্তির সন্দেহজনক যোগাযোগ’সহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়। বিচারে এদের দীর্ঘমেয়াদী সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সরকারপন্থী গণমাধ্যম এদের ইতোমধ্যেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করতে শুরু করেছে।
e9ad6f09-a36b-4790-88f0-57ade8348d0f
নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও মন্ত্রিপরিষদের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দশম সংসদ না ভেঙে একাদশ সংসদের শপথগ্রহণ অবৈধ এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ নোটিশ পাঠান। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘পূর্বের সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এতে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে এই লিগ্যাল নোটিশের উত্তর না দিলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন।
bc9eaee3-051e-4039-b445-fcfe4ca17b34
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারীর থানার আকন্দ পাড়ার রহিদুল হকের একমাত্র মেয়ে রুমা (১৯) গত বৃহস্পতিবার পাষন্ড স্বামীর দা’য়ের কোপে নির্মমভাবে খুন হয়েছে। এ বিষয়ে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলা নম্বর: ০১ তারিখ: ০৪/০১/২০১৯। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২ বছর পূর্বে উলিপুর উপজেলার নারিকেল বাড়ী পূর্ব ছড়ার পাড় গ্রামের মৃত চান্দ উল্যা হাজীর ছেলে আ. ছালাম (৩০) এর সহিত বিবাহ হয় রুমার। আ. ছালাম বিবাহের পূর্বে তার ভাবীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি তার এলাকাতে জানাজানি হয়। তড়িঘরি করে রুমার সাথে বিবাহে আবদ্ধ করেন আ. ছালামের পরিবার। বিবাহের পরও ছালামের পরকিয়া চলতে থাকলে রুমা বিষয়টি জানতে পারায় প্রতিনিয়তই রুমার উপর পাশবিক অত্যাচার শুরু করে তার রুমার স্বামী । এ অবস্থায় ঘর সংসার চলাকালিন রুমা অন্তঃসত্তা হলে ১ বছর পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জানা যায়, গত ০২ জানুয়ারি সকাল অনুমান ১০ টায় ছালাম রুমার উপর নির্যাতনের একপর্যায়ে লোহার দা’য়ের উল্টো দিক দিয়ে ঘাড়ে স্বজোড়ে আঘাত করে এবং লাঠি দিয়ে পেটে আঘাত করায় রুমা মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ সময় মৃত্যু যন্ত্রনায় রুমা মাটিতে গড়াগড়ি করতে থাকলে স্থানীয় কোন ব্যক্তির মাধ্যমে পার্শ্ববাড়ি রুমার খালা বিলকিস বেগম তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ঐ দিনেই ছালাম তার পরিবারের লোকজনসহ পরিকল্পিতভাবে রুমাকে চিকিৎসার নামে তার খালার বাড়ি থেকে নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং আবারো তার উপর নির্যাতন চালায়। রুমার অবস্থার চরম অবনতি হলেও তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বাড়িতেই রেখে দেয়। অপর দিকে বিলকিসের মাধ্যমে রুমার মা খবর পেয়ে রুমার বাড়িতে আসলে রুমাকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় দেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উলিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে রুমার অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ০৩/০১/২০১৮ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রুমার অবস্থার চরম অবনতি হলে ঐ দিনই রাত ৮.২০টায় মৃত্যু হয়। গত শনিবার রাতে পোস্ট মর্টেম শেষে চিলমারী আকন্দপাড়ায় রুমার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পাষন্ড আ. ছালাম ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন মৃত্যের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। উলিপুর থানা পুলিশ ঘাতকসহ কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
5ac6d055-1a0e-4904-9d0c-acf25441cdef
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র নয় বছর আগে ২৬ জন আরাকানি (রাখাইন) যুবক নিয়ে গঠিত হয়েছিল আরাকান আর্মি (এএ)। অথচ নয় বছরের ব্যবধানে ভয়ংকর এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজারে। যারা এখন তাদের জন্মভূমি রাখাইনে ঘাঁটি স্থাপনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের বুথিডংয়ে দেশটির সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর চারটি চেকপোস্টে সুসমন্বিত হামলা চালায় আরাকান আর্মির কয়েক শ সদস্য। হামলায় সীমান্ত পুলিশের ১৩ সদস্য নিহত হয়। এ ছাড়া পুলিশের ১৮ সদস্য ও তাদের পরিবারকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া মিয়ানমার আর্মি (তাতমাদো) শক্তি বৃদ্ধি করে অভিযান শুরু করার পরই পিছু হটে এএ সদস্যরা। রাখাইনের রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার যখন আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে, তখন আরাকান আর্মির এ হামলার ঘটনা ঘটলো। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ভয়ংকর ওই অভিযানের শিকার হয়ে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে কাচিন প্রদেশের লাইজায় প্রতিষ্ঠা করা আরাকান আর্মি। যদিও তাদের জন্মস্থান রাখাইন রাজ্যে। এএ প্রতিষ্ঠায় পূর্ণ সমর্থন ছিল কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ)। আর ২০১৪ সালে এএ তাদের জন্মভূমি রাখাইনে ফেরার লক্ষ্য প্রকাশ করে। মিয়ানমারভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ইরাওয়ার্দি ডটকম তাদের এ বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে- সর্বশেষ অবস্থা থেকে মনে হচ্ছে, এএ তাদের সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নৃগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করেন এমন বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, রাখাইন রাজ্যের কিয়াওকতো, বুথিডং, রাথেডং ও পোনাংউন এবং চিন রাজ্যের পালেটওয়া অঞ্চলে আরাকান আর্মির প্রায় তিন হাজার সদস্য প্রবেশ করেছে। মেন্টর (পরামর্শদাতা) গ্রুপ কেআইএ এবং মিত্র সংগঠন ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (ইউডব্লিউএসএ) থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া থাই-মিয়ানমার সীমান্তের কালোবাজার থেকেও তারা অস্ত্র কেনে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিয়ানমার-ভারত সীমান্তের কুকি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে থাকে আরাকান আর্মি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও এটা অনেকটাই সত্য যে, আরাকান আর্মিকে তাদের আরাকানি সমর্থকরা অর্থায়ন করে থাকে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযোগ, এএ মাদকপাচারের অর্থ দিয়ে বাহিনীকে শক্তিশালী করছে। মাত্র নয় বছরের মধ্যে মিয়ানমারের কোনো নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এ রকম শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে সেটা খুবই বিরল। এর পেছনে কারণ হলো- কর্মস্থানের খোঁজে এবং রাখাইনের দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ বছর ধরে আরাকানিরা অভিবাসন করতে থাকে। বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এসব আরাকানি প্রত্যেক মাসেই (নিয়মিতভিত্তিতে) আরাকান আর্মিকে সহায়তা করছে। এমনকি প্রভাবশালী আরাকানিরা সংগঠনটিকে নিয়মিতভিত্তিতে বড় ধরনের সহযোগিতা করছে। আরাকান আর্মির চিফ মেজর জেনারেল তন ম্রাট নাইং ইরাওয়ার্দিকে এক সময় বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে চিন রাজ্যের পালেটওয়ায় তাদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এরপর ধনী আরাকানিরা তাদের বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে পর্যন্ত সাহায্য করেছে। আরাকান আর্মির প্রতি আরাকানিদের সমর্থন এতটাই বেশি যে, সোমবার মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র ইউ জো হতয় এএ-কে সমর্থন বন্ধের আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে আরাকান আর্মির তথ্য অফিসার খিন থু খ মাদক পাচার সংক্রান্ত সরকার ও সেনাবাহিনীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু ২০১৭ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দেয়, তাতে বলা হয়, মাদকের ডিলারদের সঙ্গে আরাকান আর্মির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকেই আরাকানিদের কিছু সংগঠন অধিকার তথা অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে। যেমন- দ্য আরাকান লিবারেশন পার্টি এবং এর সশন্ত্র শাখা দ্য আরাকান লিবারেশন আর্মি। কিন্তু তারা ব্যাপকভাবে আরাকানিদের মন জয় করতে পারেনি, যেটা পেরেছে আরাকান আর্মি। এর অন্যতম কারণ হলো- আরাকান আর্মি জনগণের মাঝে তাদের দেশপ্রেমিক তথা জাতীয়তাবাদী হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। সেইসঙ্গে আরাকান রাজত্বের হৃত গৌরব তথা তাদের সেই স্বর্ণযুগ পুনরুদ্ধারের স্বপ্নও তারা মানুষের মাঝে তৈরি করতে পেরেছে।
737f8afb-e6aa-4ef2-97b5-80263e165b99
স্পোর্টস ডেস্ক: অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও অলরাউন্ডার নিকোলাস পুরানের অর্ধশতকে ভর করে চট্টগ্রামকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সিলেট সিক্সার্স। শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দিকে একটা সম্মানজনক স্কোর করে সিলেট। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়ার্নার। কিন্তু ইনিংসের ২য় বলে রবি ফ্রাইলিঙ্কের শিকার হয় লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের মাথায় নাসির হোসাইন ও ৬ রানের মাথায় সাব্বির রহমানকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। ঠিক সে সময় দলের হাল ধরে অধিনায়ক ওয়ার্নার। তরুণ আফিফ হোসেনের সাথে ৭৭ রানের জুটি করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাক্তিগত ৪৫ রান করে খালেদ আহমেদের শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান আফিফ। পরে লিকোলাস পুরানের সাথে আরেকটা জুটি গড়েন অধিনায়ক। এর বিপিএল নিজের প্রথম অর্ধশতকও তুলে নেন ওয়ার্নার। ম্যাচ শেষে নিকলাস পুরান ৩২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে ফ্রাইলিংক ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। স্কোর সিলেট সিক্সার্স: ১৬৮/৬ (২০ ওভার)
a3e80fd7-7ec4-4533-8645-3c19371499cd
একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের লক্ষ্যে আবারও আইন সংশোধন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন সংশোধন হচ্ছে রাজনৈতিক দল হিসেবে তার বিচার করা যায় কিনা? আমরা ড্রাফট করে রেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।’
9dd6a2db-7aae-4b1e-8a58-425327e13f4e
নজরুল ইসলাম তোফা: বই হলো, জ্ঞান অর্জন ১ম মাধ্যম। বই উৎসবটিই হচ্ছে ‘আলোর উৎসব’। নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের নতুন সূর্য দেখেছে। কোমলমতী শিশু, কিশোররা অন্তহীন আনন্দের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের এমন এ উৎসব আগামী দিনের স্বপ্ন দেখতে প্রস্তুত হচ্ছে। সুনগারিক গড়ে তুলতে শিশু কিশোরসহ এই দেশের জনগণের হাতে বই তুলে দেওয়া প্রয়োজন। আসলেই বইয়ের মাধ্যমে নানা ভাবনার সংমিশ্রনে ব্যক্তিগত ধারনা ও বিশ্বাস দৃঢ় হয়। যে সকল নাগরিক নিজস্ব সু-চিন্তিত মতবাদের ওপর আস্থাবান তারাই গণতন্ত্রের সম্পদ। আর এমন রকম নাগরিক পেতে হলেই দেশের শিশু থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী, পেশার মানুষের হাতে বই তুলে দেয়ার বিকল্প নেই। সারাবিশ্বের মনীষীদের বইয়ের নেশার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে মানব জীবনকে এক দৃষ্টান্ত মূলক উক্তি দিয়েছিলেন টলস্টয়। সেটি ঠিক এমন, ”জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন বই, বই, এবং বই।” জ্ঞান অর্জনের প্রধান মাধ্যমই হচ্ছে বই। তাই মানব জীবনযাত্রাকে সফলতার আলোকে আলোকিত করবার প্রধান উপায় হচ্ছে বই। সুতরাং ভালো বই পড়েই জ্ঞান অর্জন করে যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়েই সমাজ বা রাষ্ট্রের অনেক পরিবর্তনের চিন্তা করা বাঞ্ছনীয়। বাংলা সাহিত্যে ‘বই পড়া’ আর ‘বই কেনা’ নিয়ে দুটি বিখ্যাত প্রবন্ধ আছে। শিক্ষিত লোকদের এই প্রবন্ধ দুটির সঙ্গে অল্পবিস্তর পরিচয় আছে। প্রথম ভারিক্কি প্রবন্ধটি প্রথম চৌধুরীর। আবার দ্বিতীয়টি রূপ-রস-গন্ধে ভরা রম্যলেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর। প্রথম চৌধুরীর বই না পড়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছে। তারপর তিনি এও দেখিয়েছে অর্থকরী নয় এমন সব কিছুই এই দেশে অনর্থক বলে বিবেচনায় নিয়েছিল। ঠিক তখন থেকে লোকজনের বই পড়ার প্রতি অনেক অনীহা। “প্রথম চৌধুরী” ব্রিটিশ আমলে বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ নয়। পক্ষান্তরে যদি দেখি একবার বিদ্যাসাগরের বই চুরি গেল, দুষ্প্রাপ্য- “সংস্কৃত বই”। যিনি নিয়েছিল- তিনি ফেরত দেননি এবং সে কথা আর স্বীকারও করেনি বিদ্যাসাগর পড়েছিল মুসকিলে। বন্ধু জনকেই কিছু বলতে পারেনি। তাঁর বন্ধু সেই বই বইওয়ালার কাছে বিক্রি করেছে। তাই বই বা পুস্তক নিয়েও ভালো মন্দ অনেক কথাই রয়েছে। কিন্তু আবার যদি ‘বই’ পড়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করি তা হলে, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ ও ‘মনোমোহন তর্কালঙ্কার’ কথা চলে আসে। যৌথভবে তাঁরা একটি বইয়ের দোকান দিয়েছিল। সেখানে বই বিক্রি করে লাভ করতে না পারলেও তাঁরা সবাইকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলেছি। সুতরাং, বলতে হয় যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু অভিজ্ঞতার আলোকেই সকল জনগণকে বই প্রেমী করে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সারা দেশের “কোমলমতি শিক্ষার্থীরা”- ২০১৯ সালে অর্থাৎ বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। নতুন বইয়ের মৌ মৌ গন্ধে শিশুরা আনন্দিত, মাতোয়ারা। আবার শিক্ষা মন্ত্রীও বলেছে, দেশ ও পৃথিবীকেই ‘বই কিংবা সংবাদপত্র’ আমদের ঘরের মধ্যেই এনে দিয়েছে। ‘বই বা পত্রিকার’ প্রচার না ঘটলে জাতীয়তা বোধ ও আন্তর্জাতিক ভাবনায় কোন ধরনের বিকাশ ঘটত কিনা সন্দেহ। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার গ্রন্থ প্রকাশনা সহক করবার জন্য একটি জাতীয় গ্রন্থনীতি প্রণয়ন করেছে। তাই, জ্ঞান অন্বেষনে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, সারা বিশ্বের বরেণ্য মনীষীর জীবন ইতিহাস ঘাঁটলে অনেক কথার সত্যতা চোখে পড়বে। বইয়ের পাতায় পাতায় ডুবে দিয়ে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ইবনে সিনা, আল রাযী, ইবনে রুশদ, যুবরাজ ফাতিক, মাদাম মেরি কুরিসহ বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মতো বহুসংখ্যক জ্ঞান পিপাসুরাই ‘বই পাঠে’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সবার জ্ঞাতার্থের আলোকে মহৎ জীবনের আলোকে আজও তেমনি ভাবেই বই পড়ুয়া অসংখ্য ব্যক্তির সৃৃষ্টি হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে। নতুন প্রজন্মকেই আগামী দিনের “উন্নত বাংলাদেশ” গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করবে এই ‘বই’। আধুনিক এবং উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত একটি জাতি গঠনে এই সরকার “বই বিতরণের উদ্যোগ” বাস্তবায়ন করেছে। এক সময় “পুস্তক অথবা শিক্ষা” সরঞ্জামের অভাবে কোমলমতী শিশুরা যেন স্কুলে যেত না প্রতি বছরেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত। এখন সেই ঝরে পড়ার হার নেই বললেই চলে। টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বছরের ১ম দিনেই গত দশ বছরের মত ছাত্র/ছাত্রীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির পাশাপাশি নতুন নতুন স্কুলের ভবন পাচ্ছে ও হচ্ছে। বই নিয়েই যে হবে এমন নয়, পরিবেশের সহিত তাদের আর্থিক সচ্ছলতার প্রয়োজন আছে। তাই শিক্ষার উন্নয়নসহ দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত থাকাই বাঞ্ছনীয়। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার সেই ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর যেন বছরের ১ম দিনে বিনা মূল্যে বই বিতরণের উৎসব করে আসছে। ‘বই বা পুস্তক’ লেখা আর পাঠকের হাতে তা পৌঁছানোর জোর তাগিদও দিয়েছে।গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বছর চার কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে- ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই। আর ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু বিতর্কিত কথাও উঠে এসেছে তাহলো, বই ছাপানো নিয়ে বিতর্ক। এ বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছে। তিনি বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটাকে অসম্ভব মনে করলেও এমন দেশে তা সম্ভব হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই “বই” তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এখন আর বই সংগ্রহ করতে বছরের অর্ধেক সময়ে চলে যায় না। প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা’ বলেন, বিগত দিনের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেই নতুন এই সরকার এই খাতকে আরও অগ্রাধিকার ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। আগামী বছরগুলোতেও উৎসব মুখর ভাবেই ‘জাতীয় বই বিতরণের ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখবে। “বই” উৎসবে শিক্ষার্থীদের কাছে এবার মূল প্রতিপাদ্য হলো- বই পড়া, বই ছাপানো এবং বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করাসহ ইত্যাদি বিষয়েও সকল শিক্ষার্থী এবং জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যথা যোগ্য মর্যাদার সাথেই যেন-এই “বই বিতরণ উৎসব” পালিত হোক। “বই হোক নিত্যা সঙ্গী”। লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
832e98e8-7965-4e72-b4f9-ab3ece2d064f
ডেমরা প্র্রতিনিধিঃ রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার দুই শিশু হত্যাকারীর মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরামিক মিস্ত্রি গোলাম মোস্তফা ও তার মামাতো ভাই বেকারি শ্রমিক মোঃআজিজুল। গত ৯ জানুয়ারি (বুধবার) ডিসি ওয়ারী পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব ফরিদ উদ্দিন বলেন,নুসরাত জাহান (৪) ও ফারিয়া আক্তার (৫ দোলাকে খেলা করার সময় তাদেরকে লিপস্টিক এর প্রলোভন দেখায় এবং ধর্ষণ করার চেষ্টা কালে শিশু দুটি চিৎকার করলে গলা টিপে তাদের হত্যা করে। ডেমরা থানার এস এই রুহুল আমিন জানান,দীর্ঘ সময় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভাঙ্গাপ্রেস এলাকা থেকে হত্যার মূল আসামী মোস্তফাকে আটক করা হয় এর পরে তার দেয়া তথ্যেমতো অপর আসামী আজিজুলকে ডেমরার নতুন ব্রীজ থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে,গত ৭ জানুয়ারি(সোমবার)দুপুরের পর থেকে নিখোজঁ হয় দুই শিশু।মাইকিং করে ও বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে ও খোঁজ মেলে নি।মোস্তফার স্ত্রী সন্ধ্যার পর বাসায আসলে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরন দেখে টের পেয়ে যান।দুই জনের ঝগড়ার চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশে পাশেরর লোকজন শুনতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন।তৎক্ষনাৎ মোস্তফা পালিয়ে যান।রাত ৯ টায় কোনাপাড়া শাহজালাল রোডের একটি ফ্লাট বাসার খাটের নিচ থেকে ফারিয়া আক্তার দোলা (৫)ও নুসরাত জাহান (৪)লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ।প্রাথমিক তদন্তে শিশু দুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে আসামীরা মাদকাশক্ত এবং মাদকের ব্যবসা করতো। ঘটনাস্থল থেকে ও মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের নামে যাত্রাবাড়ি থানায় ও মামলা আছে।।এ ব্যাপারে ডেমরা থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
ff24a3bd-33e9-4bde-ad69-2eb4579c68d7
এম. লুৎফর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার নরসিংদীর ৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। কর্মী সমর্থকরা নিজ নিজ পছন্দের নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান বলে দাবী উত্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা ও আলোচনা শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও লবিং করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন দলের জেলা, উপজেলা এমন কী কেন্দ্রেও। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া। আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, যারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তারা অনেকটা আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পর সারাদেশের ন্যায় নরসিংদী জেলাতেও এখন উপজেলা নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আভাস ঘোষণার পর দলীয় লবিং শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। স্থানীয় নবনির্বাচিত সাংসদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়তে ইচ্ছুক সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়তে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা বেশি বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে। সেজন্য দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোরেসোরেই লবিং শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজের যোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি প্রকাশ করতে কৌশলে লবিং গ্রুপিং করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যাদের নাম আলোচনায় এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, নরসিংদী সদর উপজেলায়-সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফর আলী ভূঁইয়া, মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও সুইডেন প্রবাসী ব্যবসায়ী আতাউর রহমান। পলাশ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আলী ভূঁইয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কারও নাম শোনা যায়নি। শিবপুর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া রাখিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি নূর উদ্দিন মোল্লার নাম শোনা যাচ্ছে। মনোহরদী উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফজলুল হক, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রঙ্গু, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশিষ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আপেল, মোল্লা জহিরুল ইসলাম মুকুল, লায়ন জাহাঙ্গীর আলম, সামসুন্নাহার এমিলি রয়েছেন আলোচনায়। বেলাব উপজেলায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সমসের জামান ভূঁইয়া রিটন ও যুগ্ম সম্পাদক শরীফ উদ্দিন খান মোমেনের নাম শোনা যাচ্ছে। রায়পুরায় আলোচনায় আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক, শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল, রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শাহিন। নরসিংদী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতিকে হবে, সেহেতু মনোনয়ন পাওয়ার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচন করা না করা। দল যদি তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে মনোনয়ন দেয় তাহলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া রাখিল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের নীতি আদর্শ মেনে দলের জন্য কাজ করছি। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আমি একজন প্রার্থী। সেলক্ষে অনেক আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও চাইছেন যেন আমি নির্বাচন করি। বেলাব উপজেলার শরীফ উদ্দিন খান মোমেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি সবদিক বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া নরসিংদী বলেন, সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপর অনেকেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এমন প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা জেলা আওয়ামী লীগ পায়নি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ তাদের আগ্রহও আমাদের কাছে প্রকাশ করেননি।
1ea3749e-7603-4ce2-b5c7-6bd5d0ef6539
এম. লুৎফর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পাঁচদোনা থেকে ৫শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হানিফ মিয়া (২১) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত হানিফ ফরিদপুরের মধুখালির গয়েশপুরের আক্তার হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচদোনা মোড়ে হানিফ নামের একজনকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ৫শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবা ট্যাবলেট সে নরসিংদীতে বিক্রি করার জন্য ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছিল। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হানিফ ঢাকার রামপুরায় থাকে। সে প্রায়ই ইয়াবা বিক্রি করতে নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলায় যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সে নরসিংদীতে মাদক বিক্রি করতে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হানিফ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
8f6684a3-5b1b-4112-bdea-ba33056ce90b
সংবাদ প্রতিবেদক: চিরায়ত ঐতিহ্য ভেঙে মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যরা মঙ্গলবার বাসযোগে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গেছেন। আজ বুধবার ভোরে মন্ত্রীরা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের বাহন বাস। বুধবার ভোর পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৭টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারের সামনে থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা করেন। এনা পরিবহনের তিনটি বাসে করে সেখানে যাচ্ছেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মোনাজাত শেষে ওই বাসে করেই মন্ত্রীরা ঢাকায় ফিরবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন তিনি। বেলা ১১টায় নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে সেখানে ফাহেতা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বাসযাত্রায় শামিল হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টরা তাকে হেলিকপ্টারে যেতে অনুরোধ করেন। প্রসঙ্গত, ঐতিহ্য ভেঙে বাসযোগে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সফর দেশে এটিই প্রথম। একটি বাসের সামনের সিটে বসেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাম পাশের সিটের প্রথমে বসেছেন প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার আমরা বাসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাব। তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে বাসে করে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গেছি। এতে সময়-খরচ যেমন বেচেছে, আলাদা করে গাড়িও ব্যবহার করতে হয়নি। জনসাধারণের ভোগান্তিও কমেছে। গতকাল সাভার স্মৃতিসৌধে যেতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার না করে চারটি এসি বাস ব্যবহার করেন। আসন সংকুলান না হওয়ায় মিনিবাসগুলোর ভেতরে অতিরিক্ত আসনজুড়ে বসতে দেখা যায় তাদের।
dfbb6c2f-7b9f-4b5c-b476-a818e85b3ec6
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় তথ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভায় স্থান পান তিনি। সেই থেকে একটানা সাত বছর তথ্য মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। একই অবস্থা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের। তিনিও প্রায় সাত বছর মন্ত্রী ছিলেন। যদিও তিনি এক মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। এবারের মন্ত্রিসভা গঠনের আগে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেনন অবধারিতভাবে মন্ত্রিসভায় থাকবেন। কিন্তু মন্ত্রিসভা দেখে অনেকেই চমকে উঠেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্রদের কেউ এবারের মন্ত্রিসভায় নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে সেটি দেখে অনেকে বেশ অবাক হয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া এবং ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের কারো জায়গা না হওয়া নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল স্পষ্টতই মনঃকষ্টে ভুগছেন। মেনন বিবিসি বাংলাকে বলেন, জোটের শরীকদের কেউ মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ১৪ দলের বৈঠক হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে অন্যদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথের পর থেকে তিনি অনেকটা আড়ালে চলে গেছেন। গণমাধ্যমের সাথেও কোন কথা বলছেন না তিনি। এমনকি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে দেখা যায়নি হাসানুল হক ইনুকে। মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ায় তার হতাশা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন অনেকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন তাদের রাজনৈতিক শরীকদের মধ্য থেকে সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরীক দলগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সরকারের নানা সমালোচনা করতো। যুদ্ধাপরাধের বিচার, নানা আর্থিক কেলেঙ্কারী এবং পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবার কারণে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপে পড়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে দেশ যখন অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল তখন ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন জোটের শরীকদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেও এক ধরণের অসন্তোষ ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা চেয়েছিলেন তাদের দলের ভেতর থেকেই মন্ত্রিসভায় বেশি স্থান দেয়া হোক এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো তাদের হাতেই থাকুক। ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে মন্ত্রী হবার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে শুধু ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের। অন্য দলগুলোর তেমন কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর জাসদের মধ্যে ভাঙ্গনের কারণে দলটি আরো দুর্বল হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। হাসানুল হক ইনুর সাথে মতপার্থক্যের জের ধরে জাসদ (আম্বিয়া) গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং মাঈন উদ্দিন খান বাদল। হাসানুল হক ইনু যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর দলের একটি অংশ চেয়েছিল তিনি সরকার থেকে বেরিয়ে আসুক। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেবার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে দরকষাকষির মতো অবস্থানে নেই ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরীকরা। তিনি বলেন বলেন, পরবর্তীতে হয়তো মন্ত্রিসভায় দুই-একজন অন্তর্ভুক্ত হলেও হতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সরকারের মধ্যে কোন চাপ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর নেতারা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে এখন বেশ সাবধানী। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, একটি আদর্শকে কেন্দ্র করে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। আমরা জোটেই আছি। চিন্তা করবার কোন কারণ নেই। মন্ত্রিসভা এবং সরকার পরিচালনা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন জাসদ-এর আরেকটি অংশের (আম্বিয়া) নেতা মাঈন উদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, আমি এটাকে খুব আশ্চর্যান্বিত হবার মতো বিষয় মনে করছি না।.. এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভায় অনেক সংযুক্ত হতে পারে। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন, মন্ত্রিসভায় স্থান না পেলেও সেটি নিয়ে খুব বেশি সমালোচনামূখর হবে না ১৪ দলীয় জোটের শরীকরা। ভবিষ্যতে কোন সম্ভাবনা তৈরি হয় কি না সেদিকেই তারা তাকিয়ে থাকবে।
ce89c37c-56a1-4ce8-99cb-10bca867e52c
আপনাদের একটু সুদৃষ্টি ই পারে, ফিরিয়ে দিতে একটি জীবন। ছেলেটির নাম রাব্বি।বয়স ১২ বছর।বাসা নারায়নগঞ্জ এর খানপুরে।বাবা মো: আলমগীর। দুর্ভাগ্যবশত তার হাত এবং কোমর এর নিচ থেকে অচল। ছেলেটির মা নেই। গত মে মাসে নদীতে গোসল করতে গেলে কাচের টুকরায় ডান পা টি কেটে যায় ছেলেটির।তখন নিকটস্থ খানপুর হাসপাতাল থেকে এ.টি.এস দেয়া হলে ও পরবর্তীতে কাঁটা স্থানে ঘা হয়ে যায়।টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় সেই ঘা এর পয়জন তার পায়ের অন্য স্থানে লাগার ফলে সেখানে ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এবং পাশা পাশি মেরুদন্ডে ব্যাথা অনুভূত হয়। কিছু দিন পর নারায়ণগঞ্জের কিছু কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়।এবং তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এ ভর্তি করা হয়।কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষার পর তার মেরুদণ্ডের নিচের দিকে টিউমার ধরা পরে।এবংডাক্তার শীঘ্রই পায়ের অপরেশন করার কথা বলেন। আরো বলেন, অপরেশন করতে বিলম্ব করতে থাকলে তার পা টি কেটে বাদ দিতে হতে পারে। তখন তাদের কে ওই সাহায্য কারী দল ১৫দিনের সময় চেয়ে নিতে বলেন। ছেলেটি কে ১৫ দিনের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১মাস অতিবাহিত হলেও,সাহায্য করতে চাওয়া কারো সাথে কোন রকম যোগাযোগ সম্ভব হয়না।বরং যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, ছেলেটির বাবা মো: আলমগীর কে অপমানিত হতে হয়। অবশেষে,টাকার অভাবে চিকিৎসা ছাড়াই পুনরায় ছেলেটিকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হয়। ৭মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ও তার বাবার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় নি। ফলে ইতোমধ্যে ছেলের পা টি বাকাঁ হয়ে গেছে।চিকিৎসা করতে আরো বিলম্ব হলে এবার ছেলেটির পা কেটে বাদ দিত হবে।পাশাপাশি ছেলেটির মেরুদণ্ডের টিউমারটি ও খারাপ আকার ধারন করেছে।আর তাই জরুরী ভিত্তিতে টিউমার ও পায়ের অপরেশন করা দরকর। তিন ছেলে কে নিয়ে অতি কষ্টে কোনোরকম খেয়ে পরে বেচেঁ আছেন বলে জানান মো:আলমগীর।পঙ্গু বাবার কাছে সন্তানের চিকিৎসা করানোর মত কোন উপায় নেই।তাই ছেলেটির বাবা এবং আমারা বিডি ই এফ পরিবার সকলের নিকট সাহায্য প্রার্থী। আসুন আমরা সবাই মিলে এই ছোট্ট ছেলেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ছেলেটিকে পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা করি। ভালো ভাবে বাচাঁর ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টা করি।যদি কোন হৃদয় বান ব্যক্তি ছেলেটির চিকিৎসার জন্য সাহায্য করতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন ০১৫৩৩৯৫৭৬৮৩ এই নাম্বারে। আসুন আমরা যে যা পারি তাই দিয়ে ছেলেটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। আহ্বানে: বিডি এভারগ্রীন ফাউন্ডেশন। A hand with Affection, BD EverGreen Foundation. বি.দ্র: অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ায়,পুনরায় পরীক্ষাগুলো আবার করতে হবে। আর তাই কি পরিমান আর্থিক সাহায্যের দরকার, তা এখনি বলা সম্ভব হচ্ছে না। আপাদত,পরীক্ষা গুলো করতে মিনিমাম ২০০০০ টাকা দরকার।
ce537b4a-7abf-4640-853b-3d697d44eaab
বেশ কয়েকদিন ধরে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে বরেণ্য চলচিত্র পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াতের চিকিৎসা চলছে। এরই মধ্যে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ‘কাজী হায়াত মারা গেছেন’। গুজবটি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে যে দেশের গুণী এই পরিচালক পরিচালক বাধ্য হোন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিতে। বিষয়টি জানতে পেরে খুব কষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমি হাসপাতালে আছি। অসুস্থ, তবে বেঁচে আছি। যারা মিথ্যা কথাটা ছড়িয়েছে তাদের আমি নিন্দা করি। কেন এই মিথ্যা কথা? আমি খুব কষ্ট পেলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভালো হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারি।’ বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশের বরেণ্য এই অভিনেতা। এদিকে ভিডিও বার্তায় বাবার কথা বলার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন কাজী হায়াতের ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ভালো আছেন। প্লিজ, কেউ অপপ্রচার চালাবেন না।’ জানা গেছে, হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কাজী হায়াতের ঘাড়ের একটি রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে কাজী হায়াৎ নিউইয়র্কের প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ded99306-5379-4ad5-871e-d891a3628904
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজতি পরোয়ানা (কারাগার থেকে মামলায় হাজিরা দেয়ার অনুমতি) জারি করা হয়েছে। গ্যাটকো মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার এ ওয়ারেন্ট জারি করেন। এদিন এই মামলার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া আদালতে আসেননি। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সময় আবেদনের বিরোধীতা করেন। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগার থেকে আদালতে জারি করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন।
d790582f-abb1-4bc4-99e3-2e6d1f6e70dd
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : প্রায় দেড় শত বছরের পুরনো কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় কালের সাক্ষী হিসেবে আজও টিকে আছে। অবিভক্ত ভারত বর্ষে নাওডাঙ্গা পরগনার জমিদার বাহাদুর শ্রীযুক্ত প্রমদা রঞ্জন বক্সী এটি নির্মাণ করেন। এই পরগনার অধীন বিদ্যাবাগিশ, শিমুলবাড়ী, তালুক শিমুলবাড়ী, রসুন শিমুলবাড়ী ও কবির মামুদ প্রভৃতি জায়গায় তাঁর জমিদারি ছিল। রাজারহাটের পাঙ্গা এলাকায় প্রমদা রঞ্জন বক্সীর আরেকটি জোত ছিল। এটির দেখাশোনাসহ পরিচালনার ভার দিয়েছিলেন শিব প্রসাদ বক্সীকে। কুমার বাহাদুর বীরেশ্বর প্রসাদ বক্সী, বিশ্বেস্বর প্রসাদ বক্সী ও বিপুলেশ্বর প্রসাদ বক্সী এ তিনজন জমিদার ছিলেন। মেয়ে ছিল পুটু। বিয়ে হয় রংপুর জেলার মীরবাগের জমিদারের সঙ্গে। তার প্রথম ছেলে বীরেশ্বর প্রসাদ বক্সী পাশ্চাত্যে পড়ালেখা করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কলকাতায় আইন পেশায় কর্মময় জীবন শুরু করেন। তিনি একজন বিচারক ছিলেন। তার দ্বিতীয় ছেলে বিশ্বেস্বর প্রসাদ বক্সীর হাতে জমিদারির ভার ন্যস্ত করে জমিদার প্রমদা রঞ্জন অবসর নেন। তৃতীয় ছেলে বিপুলেশ্বর প্রসাদ বক্সী ছিলেন প্রকৌশলী। কথিত আছে, পরবর্তী জমিদার জমিদারির ভার নেওয়ার আগে তৎকালীন সময়ে পর পর তিনবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। তার বাবা জমিদার প্রমদারঞ্জন বক্সী তার ছেলেকে বলেন, ‘তোমার ভাগ্য খারাপ। অনেক ভাগ্যগুণে তুমি আমার সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছ। বাকিরা যেহেতু পড়ালেখা শিখে অন্য কিছু হতে চায় সেহেতু তোমাকেই আমি আমার জমিদারির ভার দিতে চাই।’ পরে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। সে আমলে সেখানে তিনি একটি মাইনর স্কুল গড়ে দেন। সেটি বর্তমানে নাওডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি জমিদার বিশ্বেস্বর প্রসাদ বক্সী ছিলেন সমান অনুরাগী। তার ইচ্ছায় সে সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণ জন্ম তিথি উপলক্ষে প্রতি বছর দোল পূর্ণিমায় জমিদার বাড়ির সামনে বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠে দোলের মেলা বসতো। মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে দোল সওয়ারীরা বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে দোল মূর্তি সিংহাসনে নিয়ে এই দোলের মেলায় অংশ নিতে, যা এখনও বর্তমান। ১৩০৪ সালের ভূমিকম্পের পরে অন্য দুই ভাই কোচবিহারে স্থায়ী বসবাসের জন্য একটি বাড়ি কেনেন। তারা অনেক অনুনয় বিনয় করে তাদের বাবাকে সেখানে নিয়ে যান। সেই বাড়িতে তাদের বাবা-মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে তিনি শুধু জমিদারি নিয়ে পড়েছিলেন নাওডাঙ্গায়। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সব কিছু ছেড়ে ভারতের কোচবিহার জেলায় চলে যান। তবে সর্বশেষ চল্লিশ সনের রেকর্ডে নাওডাঙ্গার সমস্ত জমি তার নামেই হয়েছে। জমিদার বাড়ির গোমস্থা গঙ্গাধর বর্মণের নাতি বিজয় চন্দ্র বর্মণ ও শৈলান চন্দ্র বর্মণ ইতিহাসের অন্তরালে হারিয়ে যাওয়া এসব তথ্য জানান। তারাই বর্তমানে কালের সাক্ষী। তারা বলেন, ঠাকুরদার কাছ থেকে তাঁরা এসব কথা শুনেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর জমিদার বিশ্বেস্বর প্রসাদ বক্সী ও তার বংশধররা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান উপলক্ষে সর্বশেষ এসেছিলেন নিজের বাড়িটাকে শেষ দেখা দেখতে। সেই শেষ। আর কেউ কখনও নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়িতে আসেননি। বর্তমানে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে পশ্চিম উত্তরকোণে প্রায় ৮ কিলোমিটা দূরে ক্ষয়িষ্ণু অবয়ব নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি। জমিদার, জমিদারি শাসন, প্রজা, গোমস্তাবিহীন অযতœ অবহেলায় শুধু কঙ্কালসার ভবনটি এখনও অরক্ষিত অবস্থায় টিকে আছে। বেহাত হয়ে গেছে এখানকার অনেক সম্পদ। ইট, চুন, সুড়কির নিপুণ গাঁথুনি এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। পশ্চিম পাশের একটা দোতালা দালান তারা ভেঙ্গে ফেলেছে। অবশিষ্ট আছে শুধু সামনের মূল দালান ও ভেতরের একটা ছোট দালান। এলাকার অনেক অসাধু ব্যক্তি সেখান থেকে বিম ও অনেক ইট খুলে নিয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলোকে আশ্রয় করে বেড়ে উঠছে অপ্রয়োজনীয় কিছু উদ্ভিদ। জমিদার চলে যাওয়ার পর কিছু অসাধু ব্যক্তি লুটপাট করলেও বর্তমানে জমিদার বাড়িসহ অনেক জমি অবৈধ দখল করে আছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তারা বাজার বসিয়েছেন জমিদার বাড়ির সামনে দোলের মেলার জন্য নির্ধারিত খোলা মাঠে। সব মিলিয়ে জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে। সচেতন মহল কালের সাক্ষী এ জমিদার বাড়িটি দখলমুক্ত করে প্রতœতাত্ত্বিক বিভাগকে সংস্কার ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার দাবি জানান। জমিদার বাড়িসহ এখানকার মন্দিরগুলো সংস্কার করলে অনেক লোক দূর-দূরান্ত থেকে নাওডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি একনজর দেখার জন্য ছুটে আসতেন। এ বিষয়ে নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুশীল চন্দ্র রায় জমিদার বাড়ির সম্পদ উদ্ধার ও বছরের পর বছর ধরে বিলীনের পথে থাকা জমিদার বাড়িটি সংস্কারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে গেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। তবে সরকার উদ্যোগ নিলে জমিদার বাড়ি সংস্কারসহ সব সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব। এলাকাবাসী সরকারের কাছে নাওডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। উদ্যোগতারা জানান, পার্কের পাশাপাশি গড়ে তোলা হাচ্ছে মিনি পিকনিক স্পটও। পার্কটি খুব শিঘ্রই সবার জন্য বিনামুল্যে প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এবং সেই অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মহাদয় উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।
3b6f1ecb-2b17-43ff-b4ef-9f17187aa06d
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। সোমবার যাত্রা শুরু করছে নতুন সরকার। এরইমধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে আওয়ামীলীগ। সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংরক্ষিত আসনের এমপিদের যোগদান নিশ্চিত করতে চায় দলটি। গোপালগঞ্জ-১ আসন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন যারা, তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফা রহমান রুমা অন্যতম। অন্য প্রার্থী হলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তানিয়া হক শুভা। উম্মে রাজিয়া কাজল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগের মনোনয়নে গোপালগঞ্জ জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ৪৩ নং আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল আবারো সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হতে চান। প্রতিবন্ধী ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলসহ গোপালগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শোক দিবস, ঈদ শুভেচ্ছা, শারদীয় শুভেচ্ছাসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি মুকসুদপুর পৌরসভার পূর্বাকর্দি গ্রামের মেয়ে। তানিয়া হক শুভা গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউপির ঝুলিগ্রামের মেয়ে। আরিফা রহমান রুমা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়(বাউবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক। তার ভাষ্য, রাজনীতির বাইরে অন্য যা কিছু করেছি বা করি সবই আমার রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করার জন্য। তিনি মুকসুদপুর পৌরসভার গুলাবায়িা গ্রামের মুন্সী আতিয়ার রহমানের মেয়ে।
5e7058c3-6648-43b6-92f3-74c9f66546e9
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ সদ্য অনু্ষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আগামী মার্চে অনু্ষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে দলীয় প্রতীকে। লাগাতার তৃতীয়বারের মতো আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসায় সারাদেশের মতো তেঁতুলিয়ার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বইছে জয়ের আনন্দ। এই আনন্দকে আরো দীপ্ত করতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলুকে দেখতে চাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে। কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু একজন উদার মনমানসিকতা ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক। তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলা শাখার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ দেড়যুগ উপজেলা অাওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পদ মর্যাদা ও ক্ষমতার রাজনীতিতে বারবার থাকা সত্ত্বেও নেই কোন প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ। সম্প্রীতির বন্ধনে সব রাজনীতির দলকেই মনের আয়নায় ভাতৃত্বের চোখে দেখেন। বিপদ-আপদে পাশে থাকেন। সম্প্রীতির রাজনীতিতে একই সাথে চা-নাস্তা-আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। তাঁর চৌকশ রাজনীতির গুণে তেঁতুলিয়াকে রেখেছেন শান্তিপূর্নতায়। সকলেই শান্তিতে থাকুক এমন স্বচ্ছ রাজনৈতিকতার অনুপম উদাহরণ তিনি কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু। একজন উদার রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের বাইরেও আপামর জনসাধারণও চাচ্ছেন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হোক। কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলুও দলের নেতাকর্মী, সমর্থকসহ আপামর সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার মূল্যায়ন করতে চান। তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জানান। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে শিক্ষা, ক্রীড়া, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রাধান্য থাকবে। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া উপজেলাটিকে মনের মতো করে গড়তে চান। কাজে লাগাতে চান সকল সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে তিনি তেঁতুলিয়ার ক্রীড়া সংস্কৃতিকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন। তার কাজের অগ্রগতিতে তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এখন প্রায়ই আয়োজন হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্টের। আগামী তেঁতুলিয়াকে আরেক নতুন রূপ দিতে চান তিনি। তিনি মনে করেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা হবে শিক্ষা ও ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নত একটি উপজেলা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কর্মচাঞ্চল্য, পর্যটন ও চা শিল্প তেঁতুলিয়ার অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনতে তিনি কাজ করবেন বলে জানান।
c65eabde-6978-4b4a-baf7-b231d352328b
নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে সরকার সতর্ক থাকবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেন কোনো অপব্যবহার না হয় সেদিকে দৃষ্টি থাকবে আমাদের। লক্ষ্য রাখতে হবে এই আইনের যে কোনো মিসইউজ না হয়। সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তারা এসময় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় তারা ফাতেহা পাঠ করেন এবং দোয়া-মোনাজাত অংশ নেন। প্রসঙ্গত, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির কারণে গতকাল মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে এই দুই মন্ত্রী টু্ঙ্গিপাড়া যেতে পারেননি। মন্ত্রিসভার সদস্যরা গতকাল বাসযোগে টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
0544e87b-f8f1-4cac-b45b-9fc43f664a6f
সংবাদ ডেস্ক: আগামী ৫ বছর নিজেদের জন্য চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হত। জাতির পিতা আজ নেই। কিন্তু তার আদর্শ আছে। আমরা তার আদর্শ অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। মাত্র ১০ বছরে আমরা যা পেরেছি, ২৮ বছরেও অন্যরা তা কেন পারেনি? কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। যখনই জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নয়ন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বিপুল এই বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও উল্লেখ করে তিনি। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরীসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এসময় নতুন গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সংসদ, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
b3c1e7fe-5ec2-4caa-8498-3355edc940a8
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বাস চাপায় রাকিব মিয়া ( ১৫) এক কিশোর নিহত হয়েছে । নিহত কিশোর রাকিব মিয়া অষ্ট্রগ্রামের হেকমত মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে । সে ভৈরব বাসষ্ট্যান্ডে একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করতো । পুলিশ ও এলাকাবাসিরা জানায়, আজ সকালে ভৈরব বাসষ্ট্যান্ডে রাস্তা পারাপারের সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহি একটি বাস উল্টো পথে বেপরোয়াগতিতে দূর্জয় মোড় অতিক্রম করার সময় বাসটি কিশোরকে চাপা দেয় । পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ।
925bdfb6-9c5a-441d-8fc9-229e42af5403
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, মার্কিন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তার দেশের অ্যারোস্পেস বা মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচি চলবে। আন্তর্জাতিক কোনো আইনে এই ধরনের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। জারিফ বুধবার ভারত সফরের সময় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানান। পাশ্চাত্যের সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে ইরান বেরিয়ে যাবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে জারিফ বলেন, তার দেশ ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করলেও এই মুহূর্তে এটি তেহরানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। মহাকাশের উদ্দেশ্যে ইরানের পক্ষ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ নিক্ষেপের বিরুদ্ধে মার্কিন কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ এসব কথা বললেন। ওয়াশিংটন দাবি করছে, মহাকাশে রকেট পাঠাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় যা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানকে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা সম্ভব। পম্পেও’র ওই বক্তব্যের জবাবে ইরানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়ায় অযারি জাহরোমি সোমবার বলেন, তার দেশ শান্তিপূর্ণ মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচি চালাতে কারো অনুমতি নেবে না। তিনি জানান, ইরান দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ আকাশে নিক্ষেপের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পাইয়াম (বার্তা) এবং দোস্তি (বন্ধুত্ব) নামক উপগ্রহ দু’টি উৎক্ষেপণের জন্য ইরানের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
2f702d53-eded-4698-9e6a-6761bdbfbeaa
সংবাদ ডেস্ক: দলীয় প্রতীকে ধাপে ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশের সব উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ তথ্য ইসিকে জানাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এ নির্বাচনেও সীমিত পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ইসি সচিব বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে সারাদেশে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, জুলাই মাসের আগে শেষ হচ্ছে এমন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনের তারিখ পরে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে। এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একসঙ্গে নির্বাচন হবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রাথমিক কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট শাখা। এবার ছয় বা সাত ধাপে ৪৯২টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হতে পারে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে উপজেলার নাম উল্লেখ করে সর্বশেষ নির্বাচনের তারিখ, উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ এবং প্রথম বৈঠকের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিতে ইসির ১০ আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্য পাওয়ার পর কোন উপজেলাগুলো নির্বাচনের উপযোগী হয়েছে, তা পরিষ্কার হবে। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
faf64113-bd61-4c45-8fcb-19ab6d00d0cc
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ফিলিপাইনের রিজাল কর্মার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ম্যানেজার মারিয়া সান্তোষ দিগুইতো দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র মেকাটি শহরের মাকাতি রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। রিজার্ভ চুরিসহ তার বিরুদ্ধে করা আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিটির জন্য ৪ থেকে ৭ বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে। ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন নিউজ ও জিএমএ নিউজসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এখবর দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। ফিলিপাইনের মাকাতিতে জুপিটার স্ট্রিট শাখায় চলে যায় টাকাগুলো। তখন ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন মারিয়া দিগুইতো। আজ তার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা হয়েছে। যেসব একাউন্টধারীর নামে অর্থ গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড স্যান্তোস ভারগারা ও এনরিকো টিওডোরো ভাসকুয়েজ। রায় ঘোষণার পর মারিয়া দিগুইতোর আইনজীবী দেমিত্রিও কাস্টোডিও বলেছেন, তার মক্কেল ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। উল্লেখ্য, বিশাল অংকের অর্থ পাচারের ইস্যুটি সারা বিশ্বকে আলোড়িত করেছে। সাইবার হামলায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থবিশ্লেষকরা। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আরসিবিসির দাবি, সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলো এই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের গাফিলতিকে ঢাকার চেষ্টা করছে। এই অর্থ চুরিতে দেশের ভেতরের কোনো একটি চক্রের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রথম দিকে তৎপরতা চালানো হলেও এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটলেও সেসময় প্রায় একমাস তা গোপন রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত এর দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হয় তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে। অর্থ চুরি নিয়ে সেসময় সরকারিভাবে একটি তদন্তও হয়। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তার তদন্তে ঘটনায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই কয়েকজনের নাম উঠে আসে। তবে সেই তদন্ত প্রতিবেদনটি পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হলেও অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করা এ মামলা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। ৩০ বারের মতো পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
d4931efd-601f-4c45-9427-138eb7d8a4b9
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ বলেছেন, আগামী গ্রীষ্মে তার দেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ইসরাইলি ক্রীড়াবিদদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি আজ (শুক্রবার) কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান। মাহাথির বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দমনপীড়নের মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানানো মালয়েশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এই নীতির আলোকে চলতি বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠে ওয়ার্ল্ড প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিতে ইসরাইলি সাতারুদের ভিসা দেয়া হবে না। মালয়েশিয়ার কুচিং শহরে আগামী ২৫ জুলাই বিশ্ব প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে এবং তা চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হয়েছে যে, প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে যাতে ইসরাইলি ক্রীড়াবিদরা অংশ নিতে পারে সেজন্য তাদেরকে ভিসা দিতে মালয়েশিয়া সরকারকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে তেল আবিব। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর মাহাথির মোহাম্মাদ তার দেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা ঘোষণা করলেন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং দেশটির জনগণ ও সরকার সব সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
d2d99ca4-4199-4c28-b7e2-2e67f481d5c8
মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করা হবে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের। আর আগামী মাসের প্রথম দিকে ঘোষিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল। এদিকে এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবে না সেটা নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। জানা গেছে, দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি বড় অংশ এ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনই প্রমাণ করে দলীয় সরকার ও বর্তমান সিইসির অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। বরং নির্বাচনে অংশ না নিলে নেতাকর্মীরাও হামলা-মামলার মুখে পড়বে না। অন্যদিকে দলের আরেকটি অংশ আবার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে। তারা বলছেন, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়া উচিত। তাহলে নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র দেশবাসী ও বহির্বিশ্ব জানবে। নির্বাচনে গেলে সংসদ নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ, তা আরো মজবুত হবে। তবে তফসিলের পর দলের নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও আতঙ্ক এখনও কাটেনি। সারা দেশ থেকে সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করছি। এ অবস্থায় আবার উপজেলা নির্বাচন। এ নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। সময় হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি হয়তো উপজেলা নির্বাচনে যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রথমবারের মতো বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, বৈঠকের পুরো সময়ই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানে দলের কোনো সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন না। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে নেতারা মতামত দেন। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চান। সেখানে উপস্থিত সবাই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বলছি। এখন যদি সেই সিইসির অধীনেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেই, তাহলে বিশ্বাযোগ্যতা নষ্ট হবে। এ ছাড়া নেতাকর্মীদেরও নতুন করে হামলা-মামলার মুখে ফেলতে চাই না। ওই নেতা জানান, তিন ঘণ্টা ধরে উপস্থিত সব নেতার মতামত শোনেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মতামত শেষে তিনি বলেছেন, আপনাদের এ মতামত সিনিয়র নেতাদের জানাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের করণীয় নিয়ে পর্যায়ক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবসহ অন্য নেতাদেরও মতামত নেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এদিকে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। হামলা-মামলার ভয়ে এখনও অনেকে বাড়িছাড়া। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের আবার মামলা-হামলার শিকার হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপির মাধ্যমে বিপুল বিজয়ের’ পর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে দাঁড়াতেই দেবে না ক্ষমতাসীন দল। তৃণমূল নেতাদের মতে, মাঠপর্যায়ে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের সবার বিরুদ্ধেই কমবেশি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনেও তারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেননি, উপজেলা নির্বাচনেও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামতে পারবেন না। তাছাড়া সরকার সংসদ নির্বাচনের মতোই সর্বশক্তি দিয়ে উপজেলা নির্বাচনেও জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নেবে। এ ধরনের নির্বাচনে যাওয়ার চেয়ে বর্জন করা দল এবং নেতাকর্মীদের জন্য মঙ্গলজনক। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৯৭ উপজেলায় নির্বাচন হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট হয়। ওই বছর সব মিলিয়ে ৭ ধাপে ভোট হয়। তবে গতবার নির্দলীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচনে ভোট হলেও এবার হবে দলীয় প্রতীকে। আগামী মার্চে দুই থেকে তিন ধাপে ভোট গ্রহণের বার্তা দিয়েছে ইসি। সেই আলোকে এ মাসের শেষ বা আগামী মাসের শুরুতে তফসিল হতে পারে। তবে ইসির সিদ্ধান্তের ওপর সব নির্ভর করছে।
81e3e007-823a-4e18-9771-541ec137dc9a
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪০তম নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী এপ্রিল মাসে হতে পারে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিকবিষয়টি সংবাদিমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘এ বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে। এর ফাঁকে কীভাবে পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে নেওয়া যায়, তার জন্য আমরা কাজ করছি।’ ৪০তম বিসিএসে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ৪০ তম বিসিএসে আবেদন করেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এ আবেদন রেকর্ড গড়েছে। এ বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর পরীক্ষা কীভাবে নেয়া হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে পিএসসি। এর আগে, ৪০ তম বিসিএস এ আবেদনের জন্য গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। এই বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে।
cc96f241-543f-4ea4-9c1c-99e66374d72c
বিনোদন ডেস্ক : ২০১৮ সালে সোনম কাপুরের বিয়ের সময় রণবীর-আলিয়াকে একসঙ্গে দেখা যায়। এরপরই তাঁদের দু’জনের রসায়ন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে গল্পকথা শুরু হয়ে যায়। যদিও রণবীর কাপুর সম্পর্কের কথা মেনে নিয়ে জানিয়েছিলেন যে, এটা এখন খুব নতুন, বলার মত পর্যায়ে আসেনি। কিন্তু সূত্রের খবর ২০১৯ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে এ বছরই আংটি বদল করতে পারেন রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট। রণবীরের মা নীতু কাপুর জুনের মধ্যেই বাগদান পর্ব সেরে ফেলতে চান। যদিও এই যুগল বিয়ের ব্যাপারে এত তাড়াহুড়ো করতে এখনই রাজি নন, তাঁরা অপেক্ষা করতে চান।
31b011a2-ed97-49b0-9e99-adc84d8a8630
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডা আগামী তিন বছরে কানাডা সরকার ১০ লাখেরও বেশি স্থায়ী অভিবাসী নেবে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির পার্লামেন্টে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে কানাডা স্থায়ীভাবে দুই লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসীকে জায়গা দিয়েছে। এ সংখ্যা ছাড়াও আরও দশ লাখ অভিবাসীকে নেবে কানাডা। দেশটির পার্লোমেন্টে বলা হয় ২০১৯ সালে তিন লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে নেয়া হতে পারে। ২০২০ সালে নেবে তিন লাখ ৬০ হাজার অভিবাসী এবং ২০২১ সালে নেবে তিন লাখ ৭০ হাজার অভিবাসীকে। কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হোসেন বলেন, ‘কানাডা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে যেখানে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবে। কানাডায় নতুনদের স্বাগতম।’ তিনি বলেন, ‘কানাডায় জন্মহার কমে গেছে এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। নতুন আসা জনশক্তি কানাডাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।’ মন্ত্রী আহমেদ নিজেও একজন অভিবাসী। তিনি সোমালিয়া থেকে কানাডায় এসেছেন। সারাবিশ্ব যেখানে অভিবাসী নীতিতে আরও কঠোর হচ্ছে সেখানে কানাডার এমন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। -সিএনএন
68a69a3a-9e15-4a06-a834-99a6d9476167
অনলাইন ডেস্ক: জুলাইয়ের মধ্যে লন্ডনে পলাতক দণ্ডিত আসামী তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকৌশলের মধ্যে রয়েছে তারা ফ্রেব্রুয়ারীর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিপ্লোমেটিক নেগোসিয়েশন শেষ করতে চায়। দুই দেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বন্দি বিনিময় চুক্তি। যেখানে একটি দেশে দণ্ড পেলে তাকে ওই দেশে ফেরত দেয়া হয়। সেই চুক্তিটি তারা মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায়। জুলাইয়ের মধ্যে তারেকের দেশে আসা নিশ্চিত করতে চায়। জুলাই নাগাদ তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে। যোগাযোগ করা হলে নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘তারেককে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য যা যা করার দরকার। আমরা সবই করছি। এরকম দণ্ডিত ব্যাক্তির বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার।’ আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেকগুলো কাজ দেখছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তালিকা তৈরীরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তারেক জিয়াসহ দণ্ডিত পলাতকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্যতম ইস্যু বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুল মোমেন বলেছেন, যে সমস্ত দণ্ডিতরা দণ্ড এড়াতে বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসাটা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন যে, শুধু তারেক জিয়া নয়। ১৫ আগষ্টের যারা খুনি, তারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। তাদের নিয়ে আসার জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে তৎপরতা চালিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। এবার নিশ্চয়ই আমরা সফল হবো।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একটি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে তারেককে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া বলেছিল, তাকে দেশে নিয়ে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা হবে। এজন্য তিনি দেশে যেতে আগ্রহী নন। তার এই বক্তব্যের সমর্থনে তিনি ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলার যে কার্যক্রম, সে কার্যক্রমের তথ্যাদি ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্টের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু এই মামলায় তারেকের মৃত্যুদণ্ড হয়নি, যাবজ্জীবন হয়েছে। এই মামলার রায়ের পর সরকার আবার যুক্তরাজ্যের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে একটি শুনানি শুরু হয়েছে। যে শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তারেকের আইনজীবি একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে অঙ্গিকার করেছিলেন, তিনি আরেকবার ক্ষমতায় এলে দণ্ডিত আসামী তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কার্যকর করা হবে। সেই প্রত্যয় অনুযায়ী নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটাকে প্রথম কাজ বিবেচনা করছেন। কিন্তু ব্রিটেনে এখন বেক্সিট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া নিয়ে টালমাতাল অবস্থা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু ভালো হলেই তারা, বিটিশ সরকারের সঙ্গে তারেকের ফিরিয়ে আনা নিয়ে আলাপ আলোচনা করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, তারেককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এবং এর পক্ষে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং তথ্যাদি আছে। তারা মনে করছেন ৫টি কারণে ব্রিটেন বাংলাদেশের কাছে তারেক জিয়াকে ফেরত দিতে বাধ্য: ১. তারেক জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ রয়েছে। ব্রিটেনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ল’ অনুযায়ী অর্থিকভাবে অস্বচ্ছ এবং আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রাখেন না। ২. তারেক জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের যোগাযোগ রয়েছে। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাধের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর নীতি। যারা এ ধরনের জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেয়া হয় না। তাকে ব্রিটেনে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। ৩. তারেক ব্রিটেনে থেকে একটি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, নাশকতার পরিকল্পনা এবং নানা রকম সহিংসতা ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। এ ধরনের প্রমান বাংলাদেশ সরকারের কাছে আছে। এই প্রমাণের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে কেউ যদি দেশে সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়। তাহলে তার রাজৈনৈতিক আশ্রয় লাভের অধিকার খর্ব হয়ে যায়। ৪. তারেক জিয়া যেহেতু দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। দুটি মামলার একটাতেও তার মৃত্যুদণ্ড হয়নি। তার এই দণ্ডটা কার্যকরের জন্য সর্ব্বোচ্চ আদালতের বিচার এখনো বাকি আছে। কাজেই ন্যায় বিচারের স্বার্থেই তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত। ৫. তারেক জিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের যে প্রক্রিয়াটা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় তারেক জিয়া অনেকগুলো মিথ্যে এবং ভুল তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছিল। কাজেই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন যে ৫টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। এই যুক্তিগুলো সঠিকভাবে যদি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন। তাহলে তারেক জিয়াকে ফেরানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে তারেককে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা কৌশলগত প্রক্রিয়া নির্ধারণ করেছেন। তারা টার্গেট নির্ধারণ করছেন যে, আগামী জুলাই নাগাদ তারেককে যেন বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
814caec6-5f8f-4b10-b1fe-aa0ffd38636e
অনলাইন ডেস্ক: স্ত্রীকে হত্যার পর টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে লাশ গুম করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গুমে জড়িত দুই ব্যক্তি ফাঁস করে দেয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। পরে ঘাতক শাহজাহান মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার অন্য দুজন হলেন, খোকন মিয়া ও মুকুল মিয়া। এরাই মরদেহ গুম করেছিলেন। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার-বিন-কাশেম। গত ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের ভাওরাইদে আফরোজা নামে গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। র্যাব বলছে, স্বামী শাহজাহান মিয়াই এই খুন করেছেন। হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। পর দিন মরদেহ গুম করতে দুই জনকে ঠিক করেন তিনি। এর মধ্যে খোকন মিয়াকে চার হাজার এবং মুকুলকে আড়াই হাজার টাকা দেবেন বলে চুক্তি হয়। পরে স্থানীয় একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। দুইদিন পর স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর অনুসন্ধানে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব তিনজনকে গ্রেফতার করে। র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার-বিন-কাশেম বলেন, শাহজাহানের সাথে আফরোজার আট বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে আফরোজা সৌদি আরবে যান। ছয় মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। স্ত্রী বাইরে থাকা তার স্বামী ভাবতেন তার কাছে অনেক টাকা আছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন অশান্তি লেগেছিল। প্রায় ঝগড়াঝাটিও হতো। ঘটনার দিন শিশু কন্যাকে বাইরে পাঠিয়ে শাহাজাহান স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়া হয়। সবাই টের পাওয়ার ভয়ে মরদেহ গুমে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় চুক্তি করা হয় দুইজনের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী তারা লাশ গুম করলেও ধরা পড়ার ভয়ে স্থানীয়দের কাছে তাদের সম্পৃক্ততার কথা গোপন করে শাহজাহান তার স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রেখেছে বলে জানায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। সারোয়ার জানান, ঘটনার জানার পর র্যাব তদন্তে নামে। পরে ডেমরা এলাকায় শাহজাহানের বন্ধুর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে জানা যায় লাশ গুমে খোকন মিয়া ও মুকুল মিয়াকে তিনি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় ভাড়া করেছিলেন।
d895d5e8-2730-4f98-86cb-4f798ac4ea3e
স্পোর্টস ডেস্ক: সোহাগ গাজীর ঘূর্ণি আর মাশরাফির গতির সামলাতে লড়ছে ঢাকা ডায়নামাইটস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৯ রানের মাথায় সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন আগের দুই ম্যাচে ত্রাস ছড়ানো হজরতউল্লাহ জাজাই (১)। আরেক ওপেনার সুনীল নারিনও দাঁড়াতে পারেননি। মাশরাফির বলে রবি বোপার হাতে ধরা পড়েন ৯ বলে ৮ রান করা নারিন। ১৯ রানে ২ উইকেট হারানো ঢাকাকে আশা দেখাতে শুরু করেন রনি তালুকদার। কিন্তু ৮ বলে ১৮ রান করে সোহাগ গাজীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৩৩ রানের টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে আসরে এখন পর্যন্ত শীর্ষে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটস। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫.৪ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৬ রান।
227e73ca-1493-4ac0-a87f-87c1aba6a2e6
মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় সাইমুর রহমান (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(১১ জানুয়ারী) দুপুরের দিকে সাইমুর রহমানের গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সাইমুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সাইমুর রহমান চিরিরবন্দর উপজেলার ৪নং ইসবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নগর মাঝাপাড়ার ডাঃ নজরুল ইসলামের ছেলে এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। সাইমুর রহমানের ছোট ভাই মোঃ সাব্বির আহমেদ(২০) অভিযোগ করে দেশ রুপান্তরকে বলেন,” একই উপজেলার ২নং সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালার পন্ডিত পাড়ার মোখলেছুর রহমানের মেয়ে মির্জানা (১৭) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ভাইয়ের। তারা নিয়মিত মোবাইল ফোনে কথা বলতো। গতকালক সন্ধার পর থেকে আমার ভাইকে বাড়িতে না পেয়ে আমরা অনেক খোজাখুজি করি,কোথাও না পেয়ে মির্জানাদের বাড়িতে গেলে তার নানা আমার বাবার নাম ধরে বলেন, নজরুলের সব ছেলে গুলোকে মেরে ফেলতে হবে! এর পর সেখান থেকে আমাকে(সাব্বির) বের করে দেয় এবং আমি মির্জানার কাছে আমার ভাই সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানে মির্জানার ফুপাতো বোন শেফালী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সাব্বির রহমান আরো বলেন,” গতকাল রাতে(১০ জানুয়ারী) আমার ভাইয়ের(সাইমুন) ফোন থেকে রাত ৯টার দিকে আমার দুলাভাইয়ের মোবাইল ফোনে ফোন আসে। সেখান থেকে আমার দুলাভাইকে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয় এবং আমার ভাইয়ের ফোন থেকেই আরো একটি ফোন কল আসে আমার বোনের মোবাইল ফোনে,সেখান থেকে আমার বোনকে অপরপ্রান্ত থেকে বলে,” আমি ভূত বলছি, তোর ভাইকে আজকে মেরে ফেলবো। এবিষয়ে মির্জানার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। চিরিরবন্দর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেশ রুপান্তরকে বলেন,” আমরা গাছে গলায় দড়ি অবস্থায় সাইমুনের লাশ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। সাইমুনের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ওসি মোঃ হারেসুল ইসলাম বলেন,” আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। যদি এরকম কিছু প্রমাণ হয় তাহলে মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে সাইমুন রহমানের পরিবার থেকে থানায় মামলা করবেন বলেও জানা গেছে।
bc2f07e0-73c7-4093-b0f4-f1d4ec4777e0
সংবাদ ডেস্ক: একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও সংলাপ আহ্বান করা হাস্যকর। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব, গণতান্ত্রিক দেশগুলো, এমনকি পাকিস্তান পর্যন্ত স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে দুনিয়ার যে ডেমোক্রেটিক জাতিগুলো, সব গণতান্ত্রিক দেশই বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, প্রশংসা করেছে, সমাদৃত হয়েছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও সংলাপের দাবি হাস্যকর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো দাবি থাকলে তা সংসদে এসে বলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
81151082-3393-438d-b53d-4476e90301a7
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূতের পদ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গত ৭ জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এরশাদের নিয়োগের অবসান করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এরশাদকে। তাকে মন্ত্রীর সমমর্যাদা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পাওয়ার পর গঠন করা হয় মন্ত্রিসভা। আর এই মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনায় বলা হয় জাতীয় পার্টি এ সরকারের মন্ত্রিসভায় অংশ নেবে না। ইতোমধ্যে এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের উপনেতা করা হয়েছে।
bffadccf-edd3-4b0c-b240-c2f652c785da
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ আল-ওথাইমীন বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সকল সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ওআইসি। পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কীয় বিষয়ে আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি অপেক্ষায় রয়েছি। বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত ওআইসি। খবর: ইউএনবি ওথাইমীন বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনার নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির ওপর বিশ্বাস থাকায় বাংলাদেশি ভোটাররা আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। আমি আপনার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে, আপনি শান্তি, ঐক্য ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবেন। ওআইসি প্রধান আরও বলেন, টানা তৃতীয়বারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ওআইসি ও আমার পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. এ কে আবদুল মোমেনকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন ওআইসি মহাসচিব। পৃথক বার্তায় ওআইসি মহাসচিব আশা করেন, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকায় মোমেনের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ওআইসির মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
00dbb120-7d3e-42d1-9992-0e69e17e9c0f
এম. লুৎফর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি : বিএনপিকে একটি আওয়ামী লীগ বিরোধী প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে এটাকে কোন রাজনৈতিক দল মনে করেন না বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, তারা একেক সময় একেকভাবে আবির্ভূত হয় শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের বিরোধিতার জন্য, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এসময় তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের যে মহাপরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী হিসেবে শিল্পমন্ত্রণালয়ে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক সফলতাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাবো। জাতি আমাদের রায় দিয়েছে উন্নয়নের পক্ষে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও বাস্তবায়ন করাই প্রধান লক্ষ্য থাকবে। নিজ নির্বাচনী এলাকা নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) তথা শিল্পসমৃদ্ধ নরসিংদী জেলা নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এলাকায় কর্মসংস্থানের লক্ষে কাজ করে যাবো। নরসিংদীতে সারকারখানা, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু শিল্পকারখানা নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো। এরআগে মন্ত্রী সার্কিট হাউজে পৌছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় নরসিংদী-৩(শিবপুর) আসনের সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বিকালে তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
4d8c2eab-a43a-45ae-81ed-c3c147f3a9e0
জয়নাল আবেদীণ রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অসহায় শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন ভৈরব ট্যুরিষ্ট ক্লাব। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজ কাচারী প্রাঙ্গনে ভৈরব ট্যুরিষ্ট ক্লাবের উদ্যোগে অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব ট্যুরিষ্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদ আলী,অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত বাবুল,সদস্য অমিয় দাস,সুমন ময়িা, সফিকুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্সের পরি চালক,কাজী রনি,আক্তার হোসেন, সদস্য রফিকুল ইসলাম, গিরিজা প্রসাদ, হরিপদ,মোবারক আলী, আতাউর রহমানপ্রমুখ। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু তার বক্তব্যে বলেন, এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী সারা মাস জুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তিনি যার যার অবস্থান থেকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। প্রচন্ড শীতে শীতবস্ত্র বিতরণের এই কর্মসূচীকে সাধুবাদ জানিয়ে এসব কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে আগ্রহী হয়ে সমাজের অন্যান্য মানুষও এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
2d95ccbf-7bb9-44b9-8c74-b65bdf04dd0b
জনপ্রিয় পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন মারা গেছেন প্রায় দশ বছর আগে। মৃত্যুর এত বছর পরও তাকে নিয়ে এখনো বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে।এবারের বিতর্কের জন্ম একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে। একসময় দুনিয়া মাতানো এই সঙ্গীত শিল্পিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ এই মাসেই প্রথম প্রদর্শনী হবে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে। কিন্তু তার আগেই সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে ‘মাইকেল জ্যাকসন শিশুদের যৌন নিপীড়ন করতেন।’যে অভিযোগ এর আগেও অনেকবার উঠেছে। তবে এই তথ্যচিত্রে তার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করছেন এমন দুজনের সাক্ষাৎকার রয়েছে। যাতে দেখা গেছে দুই জন পুরুষ বলছেন, তাদের বয়স যখন সাত ও দশ বছর তখন মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ একবার ‘নেভারল্যান্ড’ নামে পরিচিত তার খামারবাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছিলো। এই খামারবাড়িটির নামেই তথ্যচিত্রটির নামকরণ। এই অভিযোগে সেই সময় মাইকেল জ্যাকসনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। তবে ২০০৫ সালে তাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘জনপ্রিয়তাকে ঘিরে তার যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছিলো, তারকাদের ঘিরে শিশুদের মনে যে ধরনের চরম উন্মাদনা তৈরি হয়, মাইকেল জ্যাকসন সেটির অপব্যবহার করতেন, ছলচাতুরীর অবলম্বন করতেন।’ দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন ড্যান রিড। এটি তৈরির পেছনে রয়েছে এইচবিও ও চ্যানেল ফোর-এর মতো বড় বড় নাম। রিড, এইচবিও ও চ্যানেল ফোর যৌথভাবে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক। মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার এই তথ্যচিত্রের দাবিকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে।এক বিবৃতিতে তথ্যচিত্রটি দিয়ে মাইকেল নামটিকে অপব্যবহারের এক ‘জঘন্য চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে জুন মাসের ২৫ তারিখ কয়েকটি ঔষধের অতিরিক্ত বা ভুল প্রয়োগে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছিলো।-বিবিসি
1ad0c46e-cabf-49ab-8d25-df94ea9d82b4
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হলে কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে আংকারা সামরিক অভিযান চালাবে। তুর্কি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি-কে বুধবার দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তুর্কিরা কুর্দিদের ওপর গণহত্যা চালাবে এমন হাস্যকর অজুহাত দেখিয়ে যদি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে আমরা অভিযানের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।” চাভুসওগ্লু পরিষ্কার করে বলেন, আংকারা সরকার তার নিজের পরিকল্পনা সামনে নিয়ে এগুবে। তিনি বলেন, “আমরা ময়দানে এবং আলোচনার টেবিলে দুই জায়গাতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সময়মতো আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং আমরা কারো কাছ থেকে অনুমতি নেব না।” তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সিরিয়ায় তৎপর কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করুক আর নাই করুক- তুরস্ক কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। গত মাসে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনসহ মার্কিন প্রশাসনের অনেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এতে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা কুর্দিদের রক্ষা করতে চান অন্যদিকে তুরস্ক কুর্দিদের চরম শত্রু হিসেবে গণ্য করে।
82110440-1dde-4882-a44b-ac1cf5cd41a7
স্পোর্টস ডেস্ক: শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে কিয়েরান পোলার্ড উইকেটে এসে বদলে নেন ম্যাচের চেহারা। তাণ্ডব চালান রংপুর রাইডার্সের বোলারদের ওপর। তার ২৬ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ঢাকা। শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলেছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা। বিশাল লক্ষ্য পেলেও শেষ ৫ ওভারের বোলিং পারফরম্যান্সে খুশি হওয়ার কথা রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। এ সময় ৪১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তারা। নইলে ঢাকার স্কোর ছুঁতে পারত দুইশ। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিন ঢাকার উদ্বোধনী জুটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিতে পারেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানে হজরতউল্লাহ জাজাই বোল্ড হন সোহাগ গাজীর বলে। আগের দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানো আফগানিস্তানের এই ওপেনার ফেরেন ১ রান করে। পরের ওভারে সুনিল নারিনের উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। তার সংগ্রহ ৯ বলে ৮ রান। তিন নম্বরে নামা রনি তালুকদার হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৮ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রান করা এই মারকুটে ব্যাটার সোহাগের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। তাতে ৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন সাকিব ও চলতি বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মিজানুর রহমান। ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েলের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার আগে মিজানুর ১২ বলে করেন ১৫ রান। এরপর মাঠে নেমে রংপুরের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ঢাকার রানের চাকা সচল করেন পোলার্ড। মাত্র ২১ বলে ফিফটি হাঁকান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার পোলার্ড। সাকিবের সঙ্গে গড়েন ৩৯ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো জুটি। তিনি উইকেটে আসার আগে ঢাকার ওভারপ্রতি রান ছিল সাড়ে সাতের কিছু বেশি। আর ১৬তম ওভারে ৬২ রান করে যখন তিনি সাজঘরে ফেরেন, তখন সেটা প্রায় দশ ছুঁইছুঁই। তার উইকেটটি নেন হাওয়েল। ২৬ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ৪টি ছয় মারেন পোলার্ড। সঙ্গী হারিয়ে সাকিবও বেশিক্ষণ টেকেননি। রানের জন্য এদিন রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে তাকে। তার ৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস থামান ফরহাদ রেজা। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ১৩ বলে ৩ ছয়ে ২৩ রান করলে ঢাকার স্কোর পৌঁছায় ১৮৩ পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম। ফেরান রাসেল, শুভাগত হোম (৮ বলে ৩ রান) ও নুরুল হাসান সোহানকে (৩ বলে ৪ রান)। রুবেল হোসেন ১ রানে অপরাজিত থাকেন। সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৮৩/৯ (২০ ওভারে) (জাজাই ১, নারিন ৮, রনি ১৮, সাকিব ৩৬, মিজানুর ১৫, পোলার্ড ৬২, রাসেল ২৩, শুভাগত ৩, সোহান ৪, রুবেল ১* ; মাশরাফি ১/২২, সোহাগ ২/২৮, শফিউল ৩/৩৫, হাওয়েল ২/২৫, ফরহাদ রেজা ১/৩২, নাজমুল ০/৩৪)।
4d689c55-63e1-423f-a8b7-3be138225763
অনলাইন ডেস্ক: উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগের জন্য গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ৬ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে। বাংলাদেশ এই তহবিলের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এটিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে। কারণ, এই তহবিল থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে বিনিয়োগ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্য লাভজনক হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে। কিন্তু আমরা বহুমুখী বিনিয়োগ চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হচ্ছে জ্বালানি খাতে। এখানে সুযোগ আছে এই তহবিলের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করে অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার। এই তহবিল ‘বিল্ড আইন’ দ্বারা গঠিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে মার্কিন বেসরকারি খাতকে বাজার খুঁজে বের করতে সহায়তা, বিনিয়োগ সহায়তা, ইনসুরেন্স এবং টেকনিক্যাল সহায়তা দেওয়া হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিল্ড অ্যাক্টটি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলই সমর্থন করে এবং অক্টোবর মাসে এটি মার্কিন সংসদে পাস হয়। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এই তহবিল থেকে সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালের মধ্যে আগামী ২২ জানুয়ারি বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এই বিষয়টিও আলোচিত হবে। তিনি বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ আগ্রহী হলে আমরা তাদের একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি, যেখানে তারা বিনিয়োগ এবং পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল চীন, জাপান, ভারতসহ অন্যান্য অনেক দেশকে বাংলাদেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনসাস অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ হচ্ছে ৭৮০ কোটি ডলার। এরমধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৫২০ কোটি ডলার এবং আমদানি করেছে ১৬০ কোটি ডলার। -বাংলা ট্রিবিউন
5ce6a834-69c0-4ff1-814d-8a373b85aa55
অনলাইন ডেস্ক: ফেসবুকে রাষ্ট্র বিরোধী গুজব এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি অনেককে আটক করেছে। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব বুধবার একদিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাতজনকে আটক করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ফেসবুকে নিয়ে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০জনকে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে গুজব এবং বিকৃত তথ্য ও ছবি প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাও আটক করেছে আরো কিছু ব্যক্তিকে। র্যাব এবং পুলিশ বলেছে, আটককৃতদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে হয় কুৎসা রটিয়েছে নতুবা ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার। সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো কথা বলার সুযোগ যেমন তৈরি করে দেয়, তেমনি খারাপ কথা বলার সুযোগও তৈরি করে। “যখন সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ কথাটা যায় তখন সক্রিয় হয়,” বলেন চৌধুরী। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ফেসবুকে তাদের ভাষায় গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য তৎপর হলেও তারা শুধুই সরকারের বিপক্ষে যেগুলো যাচ্ছে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন। অথচ সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভুয়া খবর প্রচারের জন্য তারা বাংলাদেশে ছয়টি অ্যাকাউন্ট এবং নয়টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফেসবুক বলছে, এগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছিল, এবং এর সাথে সরকার-সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ছিল নিশ্চুপ। কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলাম বলছেন, বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করে দেখেছেন যে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বলে প্রচার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বিকৃত করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত বছর খানেক ধরেই ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম – বিশেষ করে ফেসবুক নিয়ে সরকার বেশ চিন্তিত। সরকারের অনেকেই মনে করেন, সরকার বিরোধীরা এ মাধ্যমে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা কিংবা অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছিলেন, ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সরকারের চিন্তিত হবার কারণ রয়েছে। মি: চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের ২৫টা টেলিভিশন স্টেশনকে আমি বার করলাম, তার মধ্যে বেশিরভাগই তো দেখছি যে আওয়ামী লীগ সমর্থক অথবা আওয়ামী লীগের এমপি অথবা আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর লোক। অতএব এসব গণমাধ্যম নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত না। ছাপা গণমাধ্যম সবচেয়ে দায়িত্বশীল। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া সরকার অন্য কোন কিছুকে পাত্তা দেয়না।” সরকার বিরোধীরা মনে করেন, ফেসবুকে যাতে কেউ সরকার বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না করে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ধরপাকড়ের মাধ্যমে এক ধরণের ভীতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের সমালোচনা করার জন্য কাউকে আটক করা হয়নি। যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, কিংবা তথ্য এবং ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে কারো সম্মানহানি করছে অথবা কোন কিছু উসকে দেবার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
e8c3027e-b3c8-4731-8f3a-8b44e40ece68
অজয় সাহা, রায়পুরা থেকে: নরসিংদীর রায়পুরায় স্কুল শিক্ষকের বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।জানাগেছে, উপজেলার পিরিজকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানার বাড়ীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে দুটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শিকক্ষের পরিবারের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক প্রায় ৬ টায় উপজেলার কড়ইতলা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ত্রনে আনে। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:০০ঘটিকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে ও ততক্ষণে আসবাপত্র, নগদ অর্থসহ দুটি ঘরের প্রায় সবকিছুই আগুনে পুড়ে যায়। কিন্তু এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতে ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যবৃদ্ধ। এ ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সৈয়দ আসাদুর জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ও পরিবারের লোকজনের কথায় ধারণা করা হচ্ছে আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
d7a55798-4e83-430d-8a65-1099e6430601
স্পোর্টস ডেস্ক: ডানহাতি অফব্রেক বোলার অ্যালিস ইসলামের জাদুতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। অভিষেক ম্যাচেই অ্যালিস ইসলাম ৪ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় হ্যাটট্রিকসহ একাই শিকার করেন চার উইকেট। তার হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট শিকারে রংপুর রাইডার্সের জয় কেড়ে নেয় ঢাকা। সেইসাথে টানা তিন ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠলো ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকার করা ১৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিলি রুশো এবং মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয়ের দিকেই যাচ্ছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু অ্যালিস ইসলামের হ্যাটট্রিকে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ২ রানের নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। ১৭ ওভার শেষে রংপুরের সংগ্রহ ছিল ১৫৮/৪। সেই মুহূর্তে ১৮তম ওভারটি করতে আসেন অ্যালিস ইসলাম। প্রথম তিন বলে ১ রান করে ৩ রান দেন তিনি। এরপর শুরু অ্যালিস ইসলামের কারিশমা। তার তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ মিথুনকে বোল্ড করে দেন তিনি। ৪৯ রান করেন মিথুন। পঞ্চম বলে অধিনায়ক মাশরাফিকে এবং ষষ্ঠ বলে ফরহাদকে রেজাকে বোল্ড করে দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অভিষিক্ত অ্যালিস ইসলাম। সেইসাথে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। এবারের আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকও এটি। এতে করে তৃতীয় ওভারে তিনি রান দেন মাত্র তিনটি। ১৯তম ওভারে ৯ রান নেয়ায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার পড়ে ১৪ রান। শেষ ওভারটি করতে আসেন অ্যালিস ইসলাম। স্ট্রাইকে তখন শফিউল ইসলাম। তার প্রথম দুই ওভারে দু’টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন শফিউল। তৃতীয় বলে এক রান নেন শফিউল। চতুর্থ বলে নাজমুল ইসলাম রান নিতে পারেননি। ফলে শেষ দুই বলে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে নাজমুল ইসলাম এক রান যোগ করলে স্ট্রাইকে যান শফিউল। জয়ের জন্য তখন ১ বলে দরকার ৪ রান। অ্যালিস ইসলামের শেষ শফিউল ১ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটে ১৮১ রানে থামে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। সেইসাথে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন প্রোটিয়া ক্রিকেটার রিলি রুশো। ৪৪ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ওই রান করেন তিনি। এটি তার চার ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি। মোহাম্মদ মিথুন ৩৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করে আউট হন। শফিউল ১০ এবং নাজমুল ইসলাম ১ রানে অপরাজিত থাকেন। অ্যালিস ইসলাম ৪ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় হ্যাটট্রিকসহ শিকার করেন ৪ উইকেট। সুনীল নারাইন নেন ২ উইকেট। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কাইরান পোলার্ড, সাকিব আল হাসান এবং আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে ঢাকা ডায়নামাইটস। কাইরান পোলার্ড দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৬২ রান করেন। এছাড়া সাকিব ৩৬ এবং আন্দ্রে রাসেল করেন ১৩ বলে ২৩ রান। রংপুরের শফিউল ইসলাম তিনটি, হাউয়েল ও সোহাগ গাজী দুটি করে উইকেট নেন। ৪ উইকেট শিকার করে অভিষেক ম্যাচেই ম্যাচসেরা হন অ্যালিস ইসলাম।
33d1ef3b-7332-4be3-9d00-0b596454f5b9
সংবাদ ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। ডা. দীপু মনি বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি নিশ্চয়ই নিয়মবহির্ভূত এবং অন্যায় কাজ। আমি আশা করবো বিদ্যালয়ে যে নিয়ম বেধে দেওয়া আছে সেই নিয়ম মেনে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন এবং অতিরিক্ত ফি আদায় করবেন না। কোনও ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয় এবং সে অভিযোগের প্রমাণ পাই, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া, শিশুদের স্কুলমুখী করা এবং ঝরেপড়া রোধসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে যা কিছু প্রয়োজন, তার সবকিছু করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনসহ যেসব সাফল্য রয়েছে, সেসব সাফল্য এগিয়ে নিতে আগামী পাঁচ বছরে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
f514f0b1-fa47-4126-b3e1-f8fbf7516118
শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগৎকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃজিত হন। এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামের জুমার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ং আল্লাহপাক কোরান পাকে ইরশাদ করেন ‘হে মুমিনগণ জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯। তাই জুমার আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা সব মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, তখন মানুষ যে দোয়াই করে তা-ই কবুল হয়। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। (সুবনহান আল্লাহ) দোয়াটি হলো: “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা“ জুমার দিনের আরও কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে— • সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। • বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব। • জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন। • জুমার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা। • সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা। এছাড়া আরও অনেক আমল রয়েছে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বর্তমানে জুমার নামাজ মুসলমানদের কাছে অবহেলিত। আজানের পরও মসজিদগুলো ফাঁকা থাকে। খুতবার শেষ পর্যায়ে তড়িঘড়ি করে মুসলি্লরা মসজিদে প্রবেশ করে। এরূপ করা শরিয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়। তাই যাদের মধ্যে ঈমানের সামান্যতম চেতনা রয়েছে, তারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান জুমাকে নিয়ে এমন অবহেলা করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
899be60b-2fd5-4945-8bf7-3668864df1e8
শাহিন রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : হেলাল উদ্দিন কে পুনরায় সভাপতি এবং ফেরদৌস রবিন কে সাধারন সম্পাদক সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বিশেষ সাধারন সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারন সভায় সকলের সর্বসম্মতি ক্রমে প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কে কমিটি গঠন করার একক ক্ষমতা দেয়া হয়। পরে হেলাল উদ্দিন কমিটি গঠন করে ঘোষনা দেন। কমিটিতে সভাপতি হেলাল উদ্দিন,সহ সভাপতি এস এম তফিজ উদ্দিন সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস রবিন,সহ সাধারন সম্পাদক ইসরাইল হোসেন বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলা,অর্থ সম্পাদক সুকান্ত সেন,দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী এইচ এম ফিরোজী,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দিলীপ গৌর,সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার, নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম বাবু,জাকিরুল ইসলাম সান্টু,ইসমাইল হোসেন। সভায় প্রেস ক্লাবের ৪৫ জনের মধ্য ৪১ জন সদস্য উপস্থি ছিলেন।
9a2343a3-52c9-450f-a61c-8422cb92626f
স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স ও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস। এখনো পর্যন্ত অপরাজিত ঢাকা আর প্রথম ম্যাচে হারের পর ছন্দে ফেরা রংপুরের লক্ষ্য অভিন্ন। দু’দলই যেকোনো মূল্যে জয় চায় এই ম্যাচে। মিরপুরে ম্যাচটি শুরু হবে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায়। মিরপুরের উইকেটে অন্যরা খাবি খেলেও উড়ছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। এবার হবে তাদের আসল পরীক্ষা। প্রতিপক্ষ মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। ক্রিস গেইল, রাইলে রুশো, অ্যালেক্স হেলসদের দাপট। নাকি সাকিব, নারাইন, পোলার্ড, জাজাইদের ধারাবাহিকতা। রংপুর রাইডার্স ব্যাটসম্যান রাইলে রুশো গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তার সাথে খুনসুটিতে মেতে উঠেছিলেন অধিনায়ক ম্যাশ। এই দৃশ্য রাইডার্স শিবিরের নির্ভারতার চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
9d91323f-e9ef-4693-a808-abaf2e2e5158
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১৯বছরে পা দিলেও এক ব্যক্তি চশমা ছাড়াই খালি চোখে স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা পড়াসহ সব ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যে বয়সে তার শেষ সম্বল লাঠি হাতে নিয়ে চলা ফেরা করার কথা ঠিক সেই সময়ে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় এলাকায় মানুষের কাছে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বার্ধক্য তাকে হার মানাতে পারেনি। বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি তার কাজকর্মে। তিনি কোন কাজে মনো নিবেশ করলেই আশ-পাশের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় শুরু করে দেন। এমই এই সাদা মনের মানুষটির নাম মোঃ জোবেদ আলী। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আারো বেশী হবে। তিনি উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র। তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩পুত্র ও ৪কন্যা সহ নাতি-নাতিনী সহ বহু বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে। ৯জানুয়ারী বুধবার দুপুরে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোর ঠিক বয়স মনে নেই, তবে আইডি কাডত যা আছে তার চেয়ে বেশী হবে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের দিঘীর মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন। এই বয়সে তাঁর ছোট খাট জ্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যধি হয় নাই। শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। তিনি একশ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ, পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন। রাতে তিনি কুপি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন। তিনি আরো বলেন, কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। এছাড়া পত্রিকা পড়াই তার এখন প্রধান নেশা বলে জানান। এবিষয়ে রাজারহাট ইউপি সদস্য শমশের আলী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই জোবেদ জ্যাঠোকে এই অবস্থায় দেখে আসছি। এখনো তিনি আগের মতোই চলাফেরা করেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
53623483-0629-409c-8dee-4a2f2f3a1aa7
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গিবিমান। তবে সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব হামলার বেশিরভাগই প্রতিহত করেছে। একটি সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা- ‘সানা’ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টার পর চালানো ওই আগ্রাসনে শুধুমাত্র বিমানবন্দরের একটি গুদামের ক্ষতি হয়েছে মাত্র। ইসরাইলি জঙ্গিবিমান থেকে দামেস্ক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। সিরিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সানা আরো জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় দামেস্ক বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি এবং বিমানের ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। লেবাননের আকাশসীমায় তিনটি ইসরাইলি জঙ্গিবিমান অনুপ্রবেশ করেছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর দামেস্ক বিমানবন্দরে হামলার এ ঘটনা ঘটল। ধারনা করা হচ্ছে, সিরিয়ার সঙ্গে নিজের সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরাইল সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে লেবাননের ভেতর দিয়ে এসব জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছে। সিরিয়ায় তৎপর উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিতে দখলদার ইসরাইল মাঝেমধ্যেই সিরিয়ার ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে এ ধরনের হামলা প্রতিহত করার জন্য গত অক্টোবরে রাশিয়া সিরিয়াকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৩০০’ সরবরাহ করে। তখন থেকে সিরিয়ায় অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে তেল আবিব যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে। গতরাতের ইসরাইলি হামলা ব্যর্থ করে দেয়ার কাজে এস-৩০০ ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
24b15e89-2a37-4a64-9af6-9e32d4d2de9d
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে ৯টার সময় ফেরি চলাচল শুরু হয়। বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাট সূত্র জানিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটার সময় ঘন কুয়াশার কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে কুয়াশা কমে গেলে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পদ্মায় আটকে থাকা ফেরিগুলো গন্তব্যে পৌঁছেছে। এ ছাড়াও ঘাটে লোড করা ফেরি সকাল পৌনে ৯টায় শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
0eefc659-a46b-41e1-b0e8-1dcc2e2ca7b4
সংবাদ ডেস্ক: ঘন কুয়াশার কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট সূত্র জানায়, ঘন কুয়াশায় পদ্মা নদীর দিক নির্দেশনামূলক বাতিগুলো ঝাপসা হয়ে এসেছে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর থেকে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি ফেরি মাঝ পদ্মায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। এদিকে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আটকে আছে অর্ধশত নৈশকোচ। এতে দুর্ভোগে রয়েছে যাত্রীরা। এছাড়া ঘাটে পণ্যবাহী পরিবহন আটকে থাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
6570875c-3c9c-4a1b-a7f5-e55172fc962c
অনলাইন ডেস্ক: জুভেন্টাস ক্লাবের জনপ্রিয় পর্তুগিজ ফুটবল প্লেয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল ধর্ষণের অভিযোগ। ক্যাথরিন মায়রগা অভিযোগ জানিয়েছেন যে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ড নাকি ২০০৯ সালে, লাস ভেগাসের একটি হোটেল রুমে তার ধর্ষণ করেছিলেন। সেই সময় তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান, কিন্তু কে করেছে তার নাম উল্লেখ করেননা। কেসটি বন্ধ হয়ে যায় সেই সময়। কিন্তু কিছুদিন আগে রোনাল্ডর নাম উল্লেখ করে ফের কমপ্লেন করেন তিনি পুলিশের কাছে। এই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন লাস ভেগাসের পুলিশ এবং জনপ্রিয় ফুটবলারের DNA পরীক্ষা করার ওয়ারেন্ট পাঠানো হয়েছে ইতালির কতৃপক্ষদের কাছে। ক্যাথরিন মায়গ্রার জামায় পাওয়া DNA-এর সাথে রোনাল্ডর DNA-এর মিল পাওয়া যায় কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। ২০০৯ শালের অক্টোবর মাসে ধর্ষণের অভিযোগ জানান ক্যাথরিন। লাস ভেগাসের পুলিশ জানিয়েছেন যে ছবি সহ ঘটনার অন্য প্রমান এখনও তাদের কাছে রয়েছে। ক্যাথরিনের উকিল এবং তিনি নিজে বলেন যে সেইসময় এইবেপারে তার মুখ বন্ধ রাখার জন্য রোনাল্ড তাকে ৩৭৫,০০০ ডলার দেন। এদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডর অ্যাটর্নি, পিটার এস ক্রিস্টিয়ানসেন জানান যে সেই সময় রোনাল্ড এবং ক্যাথরিনের মাঝখানে যাই হয়েছিল সেটা পুরোটাই সন্মতিসূচক ছিল।
7d9cc8cb-6310-44e1-8653-47d467e320af
সংবাদ ডেস্ক: গার্মেন্টস শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোর সমস্যা চিহ্নিত করা হলেও তা সমাধানের ব্যাপারে সরকার সময় চেয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ানোর নামে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে যে মজুরি কাঠামো করা হয়েছে, তাতে গার্মেন্টসের তিনটি পদের বা গ্রেডের শ্রমিকদের মূল বেতন কমে গেছে। এ নিয়েই অসন্তোষ থেকে শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন, মালিকদের ওপরই সমাধান নির্ভর করছে। মালিক পক্ষও দাবি করছেন, তারা সমাধান চান। খবর বিবিসির। তাহলে সমাধান হচ্ছে না কেন? সরকার বলছে, সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন রোববার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমাধানের প্রশ্নে আলোচনা হবে।গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয় গত নভেম্বরে। তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু বেতন হাতে পাওয়ার পর শ্রমিকরা বুঝতে পারেন যে, তাদের অনেকের ৮হাজার টাকার মূল মজুরি কমে গেছে। এই খাতে সাত ধরনের পদে বা গ্রেডে শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। এরমধ্যে মেশিন বা যন্ত্রপাতি যারা অপারেট করেন, তাদেরই তিনটি গ্রেডের শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি সংগঠনের নেত্রী নাজমা আকতার বলছিলেন, মজুরি কাঠামোতে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রাখা হয়েছিল। “শ্রমিকদের যারা মূল শ্রম দেন বা মেশিনে কাজ করেন, তাদের মূল মজুরি কমে গেছে। সেকারণেই তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।”অনেক শ্রমিক সংগঠনও অভিযোগ তুলেছে, নতুন মজুরি কাঠামোর মধ্যে একটা লুকোচুরি ছিল। সে বিষয়টিই শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে ঢাকা এবং এর আশে পাশে গার্মেন্টস অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। কোন কোন জায়গায় বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান মজুরি কাঠামোতে লুকোচুরির অভিযোগ অস্বীকার করেন। “আমরা বাড়ি ভাড়ার ভাতা বাড়িয়েছিলাম। এখন তারা বলছে, তাদের মূল মজুরি কমে গেছে। পৃথিবীতে সব জায়গায় বেতন যখন বাড়তে থাকে, তখন উপরের গ্রেডগুলোতে কমতে থাকে। সেটা বিভিন্নভাবে এডজাস্ট করা হয়।” “ঢাকায় তিন হাজার কারখানা চলে। সেখানে কয়টা কারখানায় সমস্যা হচ্ছে? সমস্যা হচ্ছে দু’একটা কারখানায়। তারা বের হয়ে অন্য কারখানায় গিয়ে তারা আঘাত করছে, বা লোক নামানোর চেষ্টা করছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোন কিছু থাকতে পারে। কোন ইন্ধন-দাতা থাকতে পারে। আমাদের গত ছয় মাসে গ্রোথ অনেক ভাল। এটা কারও কারও ভাল নাও লাগতে পারে। সেটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।” আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয়বারের সরকার যখন শপথ নিয়েছে সেই সময়টাতে এই বিক্ষোভগুলো হয়েছে। সেই বিষয়টাকে তুলে ধরে সরকারও এর পিছনে রাজনীতি খুঁজছে। অবশ্য শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকার, মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান আসেনি। সরকার সমাধানের প্রশ্নে সময় চাইছে। শ্রমিক নেতারা মনে করেন, মালিকপক্ষের উপরই সমাধান নির্ভর করছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান বলেছেন, সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় এখন সমাধান সম্ভব হবে। “আমরা এই সমস্যাটা চিহ্নিত করেছি। এখন এই সমস্যা নিয়ে বসবো, তারপরই তো সমাধান আসবে। আমরা তো মালিকদের নিয়ে বসবো। আগে দেখি সমাধান করতে গেলে মালিকদের কাছ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। মালিকরা তো সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। তারাও আশ্বাস দিয়েছেন যে, কারও বেতন কমবে না।” মালিকপক্ষ বলছে, কারও মূল বেতন যাতে না কমে, সেটা বিবেচনায় রেখে একটি উপায় তারা চিন্তা করেছেন। সিদ্দিকুর রহমান বলছিলেন, “আমাদের একটাই উপায় আছে, বাড়ি ভাতা কমিয়ে আগের মতো ৪০ শতাংশে নিয়ে যদি মূল মজুরিতে বেড়ে যায়। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে সমাধান করা যায়, সেই চেষ্টা আমরা করবো।” এখন রোববার শ্রম মন্ত্রণালয়ে আবারও সরকার, মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে সমাধানের উপায় বের করার চেষ্টা করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
c5206984-6ae8-4b57-8a8f-3919bb162af6
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা এলাকা থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। শনিবার সকালে হ্নীলা মাঈন উদ্দিন কলেজের পাশ থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, হ্নীলা মাঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের পাশে মরদেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। তবে তাদের নামপরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ওসি আরো জানান, দু’জনেরই শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে যেহেতু ইয়াবা পাওয়া গেছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে দু’জনই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে টেকনাফে এ পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
1d58f414-f342-470f-9994-99c41c27c947
লাইফস্টাইল ডেস্ক: অনেকে যারা মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা পান । আবার কেউ কেউ মেয়েদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ভাবেন সে কি মনে করবে । কি বলতে গিয়ে কি বলে ফেলবো ? তাঁদের বলছি এতো চিন্তার কিছু নেই । কয়েকটি সহজ উপায়ে আপনি বিষয়টিকে অনেক সহজ করতে পারেন । প্রথমে আপনি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকুন । যখন মেয়েটি আপনার দিকে তাকাবে তখন আপনি একটা সুন্দর হাসি দিয়ে মাথাটা নিচের দিকে করে মুখটা ঘুরিয়ে নিন । তবে হাসিটা যেন বকাটে হাসি না হয়ে যায় । কিছু দিনের মধ্যে যখন মেয়েটি ইমপ্রেস হয়ে যাবে তখন তাঁর সাথে সবসময় মিষ্টি মিষ্টি কথা বলুন এবং বেশি করে ওর কথা শুনুন । তবে প্রথমেই বেশি প্রোপোজ করবেন না । যখন মনে হবে মেয়েটির আপনার প্রতি একটা আকর্ষণ কাজ করছে তখন ভালো কোনো জায়গায় গিয়ে রোমান্টিকভাবে প্রোপোজ করুন । মেয়েটি যদি আপনাকে প্রথম থেকেই জানে তাহলে ওর সামনে ভালো ছেলে হয়ে থাকার চেষ্টা করুন । যদি মেয়েটি আপনাকে পছন্দ না করে তাহলে বেশি চিন্তা করবেন না । মেয়েটিকে সাহায্য করার জন্য সবসময় তৈরী থাকুন । আগে যদি মেয়েটি আপনাকে না বলে থাকে তাহলে এমন করে থাকবেন যেনো মনে হয় আপনি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন । কোনো মেয়ের সাথে যদি লাইন মারতে চান তাহলে প্রথমে তার দিকে এমনভাবে তাকাবেন যাতে মেয়েটি বুঝতে পারে যে আপনি তার সাথে লাইন মারতে চাইছেন । যে মেয়েকে পটাতে চাইছেন তার সাথে যদি হঠাত্ করে কোনো জায়গায় দেখা হয়ে যায় তাহলে আপনি এমন কথা বলুন যেনো মনে হয় আপনি তার কথাই ভাবছিলেন । আপনি যাকে চাইছেন সেই মেয়েটির সামনে তাঁর পছন্দের বন্ধুদের প্রশংসা করুন । মেয়েরা তাদের চুলের প্রশংসা শুনতে খুব ভালোবাসে । তাই তাদের চুলের প্রশংসা করুন । মেয়েরা সেই ছেলেদের বেশি পছন্দ করে যারা সবসময় খোলা মনে কথা বলে । তাই মেয়েদের সামনে লাজুক ছেলে হবেন না । কোনো মেয়েকে যদি ভালো লেগে যায় তাহলে তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করুন । যখন বুঝতে পারবে এবং আপনার দিকে তাকাবে তখন আপনি মেয়েটির দিকে আর তাকাবেন না । সুত্রঃ ইন্টারনেট
fe9f717a-5a48-42b4-8602-8766f695fcff
উঠতে, বসতে, হাঁটতে, চলতে চোখ ফেসবুকের পাতায়? যতক্ষণ হাতে স্মার্টফোন, ততক্ষণই সক্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে? সাবধান হোন এখনই। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আপনাকে নেশা ধরাতে পারে মাদকের। তার চেয়েও মারাত্মক কিছুর, যাতে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এরকমই সাবধানবাণী। আসলে মাত্রারিতিক্ত যে কোনও কাজেরই ফলাফল বিপরীতমুখী। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, বাগে আনা কঠিন। ঠিক এরকমই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সর্বক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারদের ক্ষেত্রে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণার মূল উদ্যোক্তা অধ্যাপক দার মেশির কথায়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ আবার দিনের বেশিরভাগ সময়েই এতে ব্যস্ত থাকেন। আমাদের বুঝতে হবে, এটা যেন নেশায় পরিণত না হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফেসবুক বা অন্যান্য সাইটে সক্রিয় থাকতে হবে। নাহলে বড় বিপদ।’ মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ বিহেভিয়ার অ্যাডিকশনে। অন্তত ৭১ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই স্বীকার করছেন, তারা ফেসবুকের ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল। কোনো কারণে তার থেকে দূরে থাকতে হলে, আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়েন, নয়তো নেশাগ্রস্ত। যার প্রভাব পড়ে তাদের চাকরি এবং পড়াশোনায়। গবেষণায় আরো দেখা গিয়েছে, ফেসবুক থেকে দূরে থেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন অনেকে। এরকম কয়েকটি নমুনা থেকে তারা ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মানসিক গঠন বোঝার চেষ্টা করেছেন। তাতেই উঠে এসেছে মূল বিষয়টি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ অনেক সমস্যার সূ্ত্রপাত। উলটোদিকে, এসবের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে রোজকার জীবন আপডেটও থাকে, আবার চাপ মুক্তও থাকা যায়। তাই অধ্যাপক মেশির প্রস্তাব, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকুন, তবে নির্দিষ্ট সময় মেনে। তাতে আপনার উপকার বই ক্ষতি হবে না। কিন্তু আকর্ষণ বাড়লেই বুঝবেন, বিপদের হাতছানি।’
bbfb3a56-ccaa-4e7f-a691-9edd9fdb0e9e
লাইফস্টাইল ডেস্ক: যদি এমন এক ধরণের খাদ্য উপাদানের কথা বলা হয় যা আপনাকে দীর্ঘায়ু করবে, আপনি কি নিয়মিত তা গ্রহণ করবেন? এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে; এমনকি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের মতো রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে। পাশাপাশি আপনার ওজন, রক্তচাপ এবং কোলস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রাখে এটি। এখানে বলে রাখা উচিত যে এটি একেবারেই সস্তা এবং আপনার আশেপাশের দোকানেই পাওয়া যায়। কী এই খাবার? এটি আসলে আঁশ বা আঁশজাতীয় খাদ্য। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করেছেন কী পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার আমাদের নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন এবং এর কী কী স্বাস্থ্যগত দিক রয়েছে। গবেষকদের একজন জন কামিন্স বিবিসি’কে বলেন, “এই ধরণের খাবারের গুণাগুণ সম্পর্কে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।” কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই ধরণের খাবারের ভূমিকা সর্বজনবিদিত, কিন্তু এর বাইরেও নানা ধরণের পুষ্টিগুণ রয়েছে আঁশজাতীয় খাবারের। কী পরিমাণ আঁশ আমাদের প্রয়োজন? নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ গ্রাম আঁশ আমাদের খাওয়া প্রয়োজন। তবে এটিকে ‘পর্যাপ্ত’ পরিমাণ বললেও তাদের মতে, ৩০ গ্রামের বেশি আঁশ খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। কোন খাবারে কী পরিমাণ আঁশ বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই দিনে ২০ গ্রামের চেয়ে কম পরিমাণ আঁশ খেয়ে থাকে। একটি কলার ওজন প্রায় ১২০ গ্রাম হলেও এর মধ্যে আঁশের পরিমাণ থাকে ৩ গ্রামের কাছাকাছি। যুক্তরাজ্যে একজন নারী গড়ে দিনে ১৭ গ্রাম এবং একজন পুরুষ গড়ে ২১ গ্রাম আঁশ খাওয়ার সাথে গ্রহণ করে থাকে। ফল এবং সবজির পাশাপাশি কয়েক ধরণের সিরিয়ালে, সম্পূর্ণ গম দিয়ে তৈরি রুটি বা পাস্তায়, মটরশুঁটি, ছোলা বা মসূরের ডালে এবং বাদাম ও তেলবীজ জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। যেমন উদাহরণস্বরূপ, এক ফালি বাদামী রুটিতে বা খোসাসহ রান্না করা একটি আলুতে প্রায় ২ গ্রাম আঁশ থাকে। একটি গাজরে প্রায় ৩ গ্রাম আর এক কাপ মসূরের ডালে বা খোসাসহ খাওয়া হলে একটি আপেলে প্রায় ৪ গ্রাম আঁশ থাকে। তবে গবেষক জন কামিন্সের মতে, “খাদ্য তালিকায় বেশি করে আঁশজাতীয় খাবার যুক্ত করা সহজ নয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করাটা বেশ কঠিন একটি বিষয়।” তবে দ্রুত এবং সহজে খাদ্যতালিকায় প্রচুর আঁশ রাখার কিছু কৌশল তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। আঁশের উপকারিতা প্রায় দুই দশক ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং খাদ্যাভ্যাসের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণা করার পর গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে নিয়মিত খাবারে আঁশের মাত্রা ১৫ গ্রাম থেকে ২৫-২৯ গ্রামে উন্নীত হলে প্রতি হাজারে ১৩ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা কমানো সম্ভব। এছাড়া হৃদরোগের হার কমতে পারে প্রতি হাজারে ৬ জনের। এছাড়া অন্ত্রের ক্যান্সার, রক্তচাপ, ওজন এবং টাইপ-টু ডায়বেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ খাবারের সাথে গ্রহণ করলে।
52d2323b-4e2e-4fe4-be93-a44d3262d502
রাজধানীর মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের ওপর বিকল হয়ে যাওয়া একটি ট্রাক ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে। দুই দফায় দুটি ট্রেন ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুটি রেল লাইনের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে আছে। শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে মগবাজার রেলক্রসিং পারাপার হওয়ার সময় ট্রাকটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে চালক লাইনের ওপর রেখেই ট্রাক থেকে নেমে যান। ওই সময় সিলেট থেকে আসা জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে চলে যায়। ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি রেললাইনের মাঝখানে চলে আসে। পরে আবার জামালপুরগামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন এসে ট্রাকটিকে ধাক্কা দিলে ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, ভোর পাঁচটার দিকে বলাকা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন একটি লাইনে রেল চলাচল করছে। অপর লাইনে রেল চলাচল বন্ধ।
cf553040-8a77-4587-b6b2-5e5b56e3b2e7
এমদাদুল হক,নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসনের নব নির্বাচিত আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এর জন্য কোরআন খানী মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ রঙ্গিলা বাজারে দিন ব্যাপি মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের নিয়ে কোরআন খতমের পর দোয়া মাহফিল হয়েছে। বিশিষ্টি শিল্পপতি আলহাজ¦ মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন,গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত আলী ফকির,হায়দার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য রতন সরকার,কাজিম উদ্দিন,তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিক সরকারসহ প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন রঙ্গিলা বায়তুল আমান আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রউফ কাশেমী। মিলাদ মাহফিলে বিভিন্ন এলাকার শতশত নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে নব নির্বাচিত এমপি মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
59fc92cb-7e71-4cb1-b6ee-743a6b35fd2e
স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের ১২তম ম্যাচে সন্ধ্যায় ঢাকার মুখোমুখি হচ্ছে সিলেট সিক্সার্স। শনিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, ২ ম্যাচের একটিতে জয় আর একটিতে হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট। তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। হার দিয়ে আসর শুরু করলেও শেষ ম্যাচের জয় দলকে বেশ স্বস্তি এনে দিয়েছে। তাই আজও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে সিলেট। ওপেনার লিটন দাস ভালো না করলেও রানে ফিরেছেন ওয়ার্নার, পুরান ও আফিফ। অন্যদিকে, কম যাননা ঢাকার ব্যাটসম্যানরাও। সাকিব আল হাসান, কিরণ পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল সবাই আছেন ছন্দে।
1c91758f-5787-4e38-be1e-43915fdad5d4
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৭ সালের জুন মাসে চারটি প্রতিবেশী দেশ যখন কাতারের উপর অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তখন বিশ্লেষকরা বলেন, দেশটি দুই ধরণের সমস্যার মুখে পড়েছে। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউট-এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক মাইকেল স্টেফেন্স বলেন, কাতারের চ্যালেঞ্জ ছিল দুটি।প্রথমত, তাদের প্রমাণ করতে হবে যে ওসামা বিন লাদেনের মতো কোন সন্ত্রাসীকে তারা সমর্থন করছে না। দ্বিতীয়ত; তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি যে মজবুত সেটি প্রমাণ করা। বিনিয়োগের জন্য কাতার যে একটি ভালো জায়গা সে বিষয়টি প্রমাণ করতে হয়েছে। খবর বিবিসির। সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত – এ চারটি দেশ একসাথে কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করেছিল। চারটি দেশের অভিযোগ হচ্ছে, কাতার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। যদিও এ ধরণের অভিযোগ কাতার সবসময় অস্বীকার করে আসছে। এ চারটি দেশ অবরোধ তুলে নেবার বিনিময়ে কাতারকে ১৩টি শর্ত দিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে – ইরানের সাথে কাতারের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করা, আল-জাজিরা টিভি চ্যানেল বন্ধ করা। কিন্তু কাতার কোন শর্ত মানেনি। ফলে ১৯ মাস পরেও অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে। কাতার সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে কী না সে প্রশ্ন এখন আর আলোচনার মধ্যে নেই। অন্যদিকে তুরস্কের আঙ্কারায় সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব বেশ বিপাকে পড়েছে। তবে কাতারকে এখনো প্রমাণ করতে হচ্ছে যে ব্যবসার জন্য তাদের অর্থনীতি উন্মুক্ত। সুতরাং অবরোধের সাথে দেশটি কতটা খাপ খাওয়াতে পেরেছে? অবরোধ আরোপের আগে কাতারে আমদানিকৃত পণ্যের ৬০ ভাগ আসতো এ চারটি দেশ থেকে। এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্যই প্রধান। সুতরাং অবরোধ আরোপের পর কাতারকে বিকল্প পথ দেখতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে তুরস্ক এবং ইরানের মাধ্যমে বিকল্প পথে খাদ্য আমদানি শুরু করে। এছাড়া দেশের ভেতরে উৎপাদন বাড়ানো শুরু করে। দুধের চাহিদা মেটানোর জন্য হাজার-হাজার গরু আমদানি করছে কাতার। কাতার বিনিয়োগ ফান্ড-এর সিনিয়র ডিরেক্টর আকবর খান বলেন, কাতার বেশ ভালোভাবেই সংকট মোকাবেলা করেছে। অবরোধ শুরু হবার তিনমাস পর হামাদ সমুদ্র বন্দরে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প উন্মুক্ত করে। এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরে পণ্যবাহী অনেক জাহাজ ভিড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কাতার মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে, বিশেষ করে আমেরিকার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে। এছাড়া জার্মানির সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কাতার জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য কাতার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম আইনের সংস্কার, বেসরকারিকরণ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গঠন। তবে দেশটি এখনো বড় ধরণের কোন বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারেনি। এজন্য কাতারের আমলাতন্ত্রকে দায়ী করা হয়। কাতারের রয়েছে বিশাল প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত। গ্যাস মজুতের দিক থেকে কাতার বিশ্বে তৃতীয়। ফলে তারা আমদানির বিকল্প পথ বের করতে পেরেছে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিতে কাতার বিশ্বে প্রথম। ২০১৭ সালে দেশটি ৮১ মিলিয়ন টন এলএনজি রপ্তানি করেছে, যেটি বিশ্বের মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের ২৮ শতাংশ। দেশটি প্রতিদিন ছয় লক্ষ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। তেল এবং গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ভিত্তি করে অবরোধ সত্ত্বেও কাতারের অর্থনীতি বিস্তৃত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলেছে ২০১৭ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৬ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে ২০১৮ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২.৪ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে সেটি হবে ৩.১ শতাংশ। লন্ডন ক্যাপিটাল ইকনমিকসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক জেসন টাভি বলেন, উপসাগরীয় অন্য দেশগুলোর তুলনায় কাতারের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য খুবই দুর্বল। তিনি বলেন, কাতারের নিজস্ব জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখের মতো। সুতরাং সরকার চাইলে তাদের সবাইকে সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, কাতার যদি না চায়, সেক্ষেত্রে ব্যবসা বান্ধব বৈচিত্র্যপূর্ণ অর্থনীতি দেশটির জন্য খুব একটি প্রয়োজনীয় নয়। শুধু গ্যাসে উত্তোলন বাড়িয়ে দেবার মাধ্যমেই কাতার টিকে থাকতে পারবে। শুধু গ্যাস বিক্রি করে কাতার যে অর্থ উপার্জন করবে সেটির মাধ্যমে অন্য সবকিছুকে সহায়তা করা যাবে। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
c606b2fa-cc8a-455d-9c8d-9a9677075387
এমদাদুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চান আ’লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন সরকার। তিনি বর্তমানে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সাথে একই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সংগঠনের হাল ধরে রেখেছেন। রোববার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদে তাঁর নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। এসময় তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। প্রান্তিক কৃষক থেকে ধরে হতদরিদ্র সকল মানুষ আমার বন্ধু। সকাল শুরু হয় সাধারণ মানুষের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া মেটানোর মধ্য দিয়ে। রাতও শেষ হয় তাঁদের কথা চিন্তা করে। এক ছেলে ব্যারিষ্টার ও অন্য ছেলে আমার প্রফেসর। জীবন গড়ার আর কিছু নেই। এখন জীবনের বাকিটা সময় সাধারণ মানুষের সেবা করে বেঁচে থাকতে চাই। তিনি আরো বলেন, সকল কাজের সাথে সংগঠনকে গতিশীল ও চাঙ্গা রাখতে সব সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। সংগঠনের যে কোন কর্মসূচি সফল করতে সভা ও সমাবেশ পালন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞাদানে আমি সব সময় কাজ করি। এরই প্ররিপ্রেক্ষিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে শ্রীপুর থেকে নৌকা বিজয়ী হবে। আওয়ামীলীগের ইশতেহার অনুযায়ী ‘গ্রাম হবে উপশহর’ সেই লক্ষ্যে কাজ করবো। তিনি টানা দু,বার তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে প্রায় তিন একর জমি দান করেছেন। যার বর্তমানে মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তাঁর ব্যক্তিগত দানের হিসাব করে শেষ করা যাবে না। তিনি আরো বলেন,তেলিহাটি ইউনিয়নের সভাপতি নিয়োজিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে তৃনমুলে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। এলাকার সামাজিক ও শিক্ষামুলক কর্মকান্ডে ভ’মিকা পালনসহ এলাকাবাসির মধ্যে আতœনির্ভরশীলতার জন্য সচেতন বৃদ্ধি,গরিব অসহায়,মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। ধর্মীয় উৎসব,প্রাকৃতিক দূর্যোগে অসহায় গরীবদের মাঝে বিভিন্ন সহযোগিতাসহ সেবামুলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আসন্ন শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমি সবার দোয়া ও সর্মথন প্রত্যাশী। এলাকাবাসীসহ সুশীল সমাজ ক্লিন ইমেজের শিক্ষিতরা আমাকে দলীয় আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
8045ef9a-8460-4734-a403-cff2d692940e
এমদাদুল হক,নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। গত কয়েক মাসে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামে বিএবি ব্রিক্স ও বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মেসার্স শ্রাবণ ব্রিক্স (এসবিএম) নামে ইটভাটা ২টি গড়ে উঠেছে। লোকালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি নির্মিত তালতলি গ্রামের ভাটায় ইট পোড়ানো চলছে পুরোদমে। বরকুল গ্রামে প্রায় ২৫ বিঘা ফসলি জমির ওপর অন্য ভাটাটিতে ইট পোড়ানোর কাজও শুরু হয়েছে। জানতে চাইলে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল ছালাম সরকার বলেন, ওই দুটি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়নি। তাই সেগুলো অবৈধ। এসব ভাটার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইট ভাটার অবস্থান হতে হবে লোকালয় ও এলজিইডির পাকা সড়ক থেকে ৩ কি:মি: দূরে। প্রস্তাবিত জায়গাটি আবাদি কি না সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্রসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র হাতে পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কৃষি বিভাগ থেকে অনাবাদি জমির প্রত্যয়ন না দিলে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের প্রশ্নই আসে না। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম মূয়ীদুল হাসান বলেন, উপজেলার বরকুল ও তালতলি গ্রামে আবাদি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় কৃষি বিভাগ থেকে কোনো প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়নি। ২৬ জানুয়ারি বরকুল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বিঘা আয়তনের আবাদি কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা নির্মাণের করা হয়েছে। একেবারে লোকালয় ঘেঁষেই ভাটা। ফসলি জমির মাটি কেটে পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ইট ভাটার ব্যবস্থাপক কফিল উদ্দিন বলেন, ২৫ বিঘা জমির মধ্যে কিছু নিজের ও কিছু অন্যের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। এগুলো কৃষি জমি কৃষকরা ভাড়া দিছে। বরকুল গ্রামের ৪/৫জন কৃষক বলেন, গত আমন মৌসুমেও ওই ২৫-২৬ বিঘা জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। অন্য বছর এ সময় বোরো চাষ হতো। কিন্তু এখন ফসল চাষের বদলে জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে শুধু ওই ২৫-২৬ বিঘা জমিতেই কৃষি চাষাবাদ বন্ধ হচ্ছে না, ইটভাটার নির্গত ধোয়ায় পাশের গোটা মাঠজুড়ে শত শত বিঘা জমিতে ফসল চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে। তাঁরা আরো বলেন, লোকালয় ঘেঁষে আবাদি জমিতে এভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিপক্ষে এলাকার কৃষকেরাও। কিন্তু ভাটার মালিক এলাকার খুব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। অন্য দিকে তালতলি গ্রামের বিএবি ব্রিক্সের মালিক সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও প্রশাসন থেকে লাইসেন্স এখনো নেওয়া হয়নি, তবে ভাটা নির্মাণের পর এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, শ্রীপরে নতুন কোনো ইটভাটার লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। কৃষি জমিতে কোন ভাবে অবৈধ ভাটা নির্র্মাণ করতে দেয়া হবে না। কোথাও ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
2a43c16b-da1b-4a5c-a7d2-9df280954b7e
সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট বাংলাদেশের প্রথম মহাকাশ যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে আগামী ১২ মে থেকে দেশের সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার চলবে। সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে দেশের সকল টিভি চ্যানেলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রথম তিন মাস ফ্রি সম্প্রচার করবে বলেও জানান তিনি। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে। পাশাপাশি এসব চ্যানেল পরিচালনায় তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে আইন বহির্ভূতভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। বিদেশ থেকে অনেক বিজ্ঞাপন তৈরি করে এনে তা এদেশে প্রচার করা হচ্ছে। নানা কারণে টেলিভিশনে উপার্জন করে তা থেকে ব্যয় করার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে এবং ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চুতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব ও দায়িত্ব দুটোই অপরিসীম। এমন কোনো মানুষ নেই যারা বাড়িতে টেলিভিশন আছে কিন্তু টেলিভিশনের সামনে বসে না। টেলিভিশন আমাদের দেশে বিনোদন যেমন দিচ্ছে, সংবাদ পরিবেশন করছে, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করছে তেমনি সমাজের চিত্র পরিস্ফুটনের ক্ষেত্রে এবং দায়িত্বশীলদের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে এসব চ্যানেল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পরিচালনায় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। দেশের উন্নয়নে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়েও আজ আলোচনা হবে। সমাজের মনন তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে টেলিভিশনগুলো কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়েও টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে আলাপ করা হবে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারান্তরীণ দৈনিক যুগান্তরের দুই সাংবাদিক আবু জাফর ও সেলিম উদ্দিনের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান, সাংবাদিক আবদুন নূর, মোঃ আকরাম, জাবেদ রহিম বিজন, শফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা কারান্তরীণ দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমাজ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। আখাউড়া প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ফেসবুকে এসএসসির ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে সোহাগ মিয়া (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। আটককৃত সোহাগ মিয়া উপজেলার শিবনগর গ্রামের মো. মুনির হোসেনের ছেলে। সে দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার নিজ বাড়ি থেকে র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে। সোমবার বিকেল ৩টায় র্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র এডি চন্দন দেবননাথ জানায় , আখাউড়া উপজেলার ধাতুরপহেলা এলাকায় তার নানির বাড়ি থেকে সোহাগ ফেসবুকের মাধ্যমে এসএসসির ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহের কার্যক্রম চালাত। শতাধিক গ্রুপের মাধ্যমে সে এই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করত। সে ‘MD Saddam khan’ নামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করত। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে বিষয়টি ধরা পড়লে, তাকে নিজ বাড়ি শিবনগর থেকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আটক সোহাগ জানায়, সে যখন জেএসসি পরীক্ষা দেয়, তখন ভুয়া প্রশ্নপত্র কিনে প্রতারিত হয়েছিল। নিজে প্রতারিত হওয়ার পর সে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে টাকা আয়ের ধারণা আসে। প্রশ্নপত্র বিক্রির জন্য পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে সে ভুয়া ফেসবুক আইডি MD Saddam khan থেকে স্ট্যাটাস দেয়। পরে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করে। র্যাব আরো জানায়, সোহাগের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় আখাউড়া থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। শফিউল আলম জানান, প্রস্তাবিত আইনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যাপারে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকার জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া টকশোতে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করলে একই সাজার কথা বলা আছে এই আইনে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইন অনুযায়ী আদালত কর্তৃক দুই বছরের দণ্ড পাওয়া কোনো ব্যক্তি অথবা বিকৃত মস্তিষ্ক ও দেউলিয়া ঘোষিত কোনো ব্যক্তির মালিকানায় গণমাধ্যম প্রকাশিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা হবে। শফিউল আলম বলেন, সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য প্রথমে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রের উপযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সাতজনকে নিয়ে কমিশনটি গঠনের সুপারিশ করবে এই সার্চ কমিটি। গঠিত ওই কমিশন উপযুক্ততার ভিত্তিতে দেশের রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইনসহ সব ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে লাইসেন্স দেবে। কোনো কারণে লাইসেন্স বাতিল করতে হলেও, সেটা করতে পারবে কমিশন। সরকারের অনুমোদন নিয়ে কমিশন এই দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স নবায়নও করবে এই কমিশন।’ লাইসেন্স কী কী কারণে বাতিল হতে পারে এবং কত বছর পরপর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে আইনটিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। পরে বিভিন্ন বিধিতে এগুলো যুক্ত করা হবে। শফিউল আলম আরো জানান, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতেও অনুমোদন দেবে এই কমিশন। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কমিশন তার নিষ্পত্তি করবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী উল্লেখ করে, আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনেই আইনটি সংশোধন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। আজ সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্পাদক পরিষদের ডাকা মানববন্ধনে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। বিবৃতিতে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০০৮’ পাশ হওয়ার আগে থেকেই এই আইনটির বিভিন্ন ধারা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলাম। এই আইনটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধী নয়, কিন্তু বর্তমান আইন শুধু সাইবার জগৎ নয়, স্বাধীন গণমাধ্যমের ও পরিপন্থী।’ মানববন্ধনে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হল, ১. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩, ৫৩ ধারা অবশ্যই যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে। ২. এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে। ৩. পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে। কিন্তু কোনো কম্পিউটারের ব্যবহার বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তারা শুধু তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে, যখন সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পদকের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ওই বিষয়বস্তু আটকে যাওয়া উচিৎ সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারবে। ৪. কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা আটকে দেওয়া বা জব্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের আগাম নির্দেশ নিতে হবে। ৫. সংবাদমাধ্যেমের পেশাজীবীদের সাংবাদিকতার দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথমেই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে। এবং সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের কোনো অবস্থাতেই পরোয়ানা ছাড়া ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া আটক বা গ্রেফতার করা যাবে না। ৬. সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবী দ্বারা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে গ্রহণযোগ্যতা আছে কি-না তার প্রাথমিক তদন্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যম করা উচিৎ। এই লক্ষ্যে প্রেস কাউন্সিলকে যথাযথভাবে শক্তিশালী করা যেতে পারে। ৭. এই সরকারের পাশ করা তথ্য অধিকার আইনকে দ্ব্যর্থহীনভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। এই আইনে নাগরিক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য যেসব স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, সেগুলোর সুরক্ষা অত্যাবশ্যক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংসদে পাস হয়েছে। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনের বিভিন্ন ধারায় রয়ে গেছে বলে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে আগের মতোই। প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা পাস না করতে এক সপ্তাহ আগেও আহ্বান জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এর মধ্যেই বুধবার সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের উপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর গত ৯ এপ্রিল তা সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। আইনটি মন্ত্রিসভায় ওঠার পর থেকেই এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে সমালোচনা করে আসছে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, এই আইনের ফলে ‘স্বাধীন’ সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হবে। খসড়া আইনটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটিকে প্রথমে চার সপ্তাহ দেওয়া হলেও পরে দুই দফায় তিন মাস সময় বাড়িয়ে নেয় তারা। তবে শেষ দফায় এক মাস সময় নিলেও একদিনের মধ্যে দিন পরেই বৈঠক করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিলটি পরীক্ষা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সংসদীয় কমিটি। সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই বিলটি পাস সংসদে পাস হয়েছে। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে দুই দফায় সম্পাদক পরিষদ, টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি; তবে তাতেও উদ্বেগ প্রশমিত হয়নি। সংসদীয় কমিটি প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সম্পাদক পরিষদ এক বিবৃতিতে বলে, “এই আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।” সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সম্পাদক পরিষদ খসড়া আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ধারার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। ২০০৬ সালের তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় থেকে সরকার তরফ থেকে বলা হয়েছিল ওই আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন আইনে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হবে। ৫৭ ধারায় বলা ছিল, “কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷ কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷” ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬১ ধারায় বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বাতিল হবে। এসব ধরায় কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ; কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত কম্পিউটার সোর্স কোড, গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন, বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করার শাস্তি; ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কম্পিউটার রিসোর্সের ক্ষতি-পরিবর্তন বা হ্যাকিং; ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার, ই-মেইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টার অপরাধের শাস্তি বলা হয়েছে। ৫৭ ধারার বিভিন্ন বিষয় পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে বিভিন্ন ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায় ছিল, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করলে ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ক্ষেত্রমত, ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি অনুরোধ করতে পারবে। ওই ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মনে হয় যে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য দেশের বা দেশে কোন অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্নকরে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে তাহলে বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত ব্লক বা অপসারণ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এই ধারায় পরিবর্তনের জন্য সম্পাদক পরিষদ সংসদীয় কমিটিতে প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে এখানে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।সংসদীয় কমিটির সুপারিশে এই আইনের প্রয়োগ সংক্রান্ত বিধানে শর্তাংশ যুক্ত করে বলা হয়েছে, “… তবে শর্ত থাকে যে তথ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর বিধানবলি কার্যকর থাকিবে।” মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “সেকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ…” বিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের আইনমন্ত্রী ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে ১৮ ধারায় কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেমে বেআইনি প্রবেশে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকার বিধান ছিলো। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর এখানে শাস্তি কমিয়ে ছয় মাস কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ডের বিধানের অংশে সংসদীয় কমিটির মতানুসারে ‘জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা’ যুক্ত করা হয়েছে। এখানে শাস্তিও কমানো হয়েছে। আগে ১৪ বছরে জেল বা এক কোটি টাকা কিংবা উভয়দণ্ডের বিধান ছিল। এখন কারাদণ্ড ১০ বছরের করার বিধান রয়েছে। ২৫ ধারায় বলা ছিলো, যদি কোন ব্যাক্তি ইচ্ছা করে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করে যা আক্রমাণাত্মক, ভীতি প্রদর্শক বা কাউকে নীতি ভ্রষ্ট করে বা বিরক্ত করে; অপমান অপদস্ত বা হেয় করে; রাষ্টের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্ত করতে কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত করে প্রকাশ বা প্রচার করে তবে তা হবে অপরাধ। এই ধারার চারটি উপধারাকে ছোট করে দুটি উপধারা করা হয়েছে। তবে মূল বক্তব্য প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অন্য কারও পরিচিত তথ্য সংগ্রহ, বিক্রয় দখল, সরবরাহ বা ব্যবহার করেন, তাহলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বা উভয় দণ্ড হবে। একই অপরাধ বারবার করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পরিচিত তথ্য বলতে বলা হয়েছে, বাহ্যিক, জৈবিক বা শারীরিক তথ্য বা অন্য কোনো তথ্য, যা এককভাবে বা যৌথভাবে একজন ব্যক্তি বা সিস্টেমকে শনাক্ত করে, যার নাম, ছবি, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, মায়ের নাম, বাবার নাম, স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নম্বর, আঙুলের ছাপ, পাসপোর্ট নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই-টিআইএন নম্বর, ডিজিটাল স্বাক্ষর, ব্যবহারকারীর নাম, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড নম্বর, ভয়েজ প্রিন্ট, রেটিনা ইমেজ, আইরিস ইমেজ, ডিএনএ প্রোফাইল, নিরাপত্তামূলক প্রশ্ন বা অন্য কোনো পরিচিত যা প্রযুক্তির উৎকর্ষের জন্য সহজলভ্য। ২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য শাস্তি কমানো হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে ৭ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। পাস হওয়া জেল কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। মানহানিকর তথ্য প্রচার নিয়ে ২৯ ধারায় পরিবর্তনের কথা সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলও সেখানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিলে ৩১ ধারায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটে এমন তথ্য প্রচারের বিষয়ে পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখানেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সংসদে উত্থাপিত বিলের ৩২ ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের সবচেয়ে বেশি আপত্তি ছিলো। ওই ধারার ফলে প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা। সংসদীয় কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় সাংবাদিকরা। সংসদে উত্থাপিত বিলের ওই ধারায় সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের তথ্য উপাত্ত, যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছিল। এখানে সংসদীয় কমিটি পরিবর্তন করার সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ শব্দ উঠিয়ে দেওয়া হয়। এখন বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ‘অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৯২৩ এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করে বা করতে সহায়তা করেন, তা হলে তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ এখানে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ শব্দ উঠে গেলেও তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। সংসদে উত্থাপিত বিলে এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিলে বলা, কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, “সাইবার তথা ডিজিটাল অপরাধের কবল থেকে রাষ্ট্র এবংজনগণের জান মাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এ আইনের অন্যতম লক্ষ্য।” সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছে আমাদের দেশ এবং ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। দেশের মানুষ বর্তমানে ঘরে বসেই পাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের নাগরিক সুবিধা। সবাই চাচ্ছে ব্যস্ততম জীবনে সব থেকে সহজ সমাধান। সহজ সমাধানের জন্য দেশে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ই-কমার্স সাইট। এই সাইট গুলোর মাধ্যমে জনসাধারণ ঘরে বসেই পাচ্ছে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র। ক্রেতা সাধারণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দিন দিন এই ডিজিটাল বাজারের পরিধি বেড়েই চলেছে। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে ডিজিটাল বাজারেও বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। একসময় কোরবানি ঈদের আগে বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি হাটের মাইকিং দূর থেকে ভেসে আসত। কোরবানির পশু ক্রয়ের আগে চলতো পছন্দ মতো পশু নির্বাচন প্রক্রিয়া। এরপর দামাদামিতে মিলে গেলেই কেনা হত কোরবানির পশু। এই প্রচলন এখনো আছে। কিন্তু সেই সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু আধুনিক পদ্ধতি। বর্তমানে অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির পশু। যারা পশুর হাটে যাওয়ার ঝক্কি এড়াতে চান তাদের জন্য থাকছে এই বিকল্প পদ্ধতি। অনলাইনে অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানি পশু কেনার সুব্যবস্থা। অনলাইনে পশু বিক্রির সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিক্রয় ডট কম, বেঙ্গল মিট, আমার দেশ ই-শপ, ক্লিক বিডি, কেইমু ডট কম ডট বিডি। গত তিন বছর ধরে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করছে দেশের অন্যতম রেডিমেড মাংস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মিট। কোরবানির পশু জবাই থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থাও করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলার ক্রেতাদের পশু সরবরাহ করছে এ প্রতিষ্ঠান। বেঙ্গল মিটের মাধ্যমে ক্রেতা সাধারণ সম্পূর্ণ স্টোরয়েডমুক্ত, রোগমুক্ত, স্বাস্থ্যবান কোরবানি পশু পাবেন ঘরে বসেই। ই-কমার্সের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিক্রয় ডটকমের ওয়েবসাইটে রয়েছে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের গরু। ১০ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে ছাগল। গ্রাহকরা কেনার আগে তাদের প্রত্যাশিত পশুটিকে খামারে সরাসরি দেখেও আসতে পারেন। শুধু কোরবানির গরুই নয়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে কসাই পাওয়ার সুযোগও। সেবা ডট এক্সওয়াইজেড নামে প্রতিষ্ঠানের কসাই দেওয়ার ধরন হচ্ছে-গ্রাহকের কেনা পশুর মূল্যের ওপর হাজারে তিনশ টাকা নেওয়া হবে। এ সেবা দেওয়া হচ্ছে শুধু রাজধানীতেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও পাওয়া যাচ্ছে কসাই। ফেসবুক ‘বুচার শপ কসাই সাপ্লাই’ নামক একটি পেজ থেকেও কসাই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের সেবাও ঢাকায় সীমাবদ্ধ। এ প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের পশুর মূল্যের ওপর প্রতি হাজারে নিচ্ছে ২০০ টাকা করে। তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ উন্নত হওয়ায় আধুনিক ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে দেশের জনগণ। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে চিত্রশিল্পী শহিদুল আলম সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জানা যায়, জনৈক মার্টিন থিয়েরি এবং জ্যাসপার নামক দুজন ব্যক্তির সাথে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের বার্তা আদান-প্রদান করেন শহিদুল আলম। ২৪ জুলাইয়ের বার্তায় মার্টিন ও জ্যাসপার নিরাপদ সড়কের দাবির নামে সরকারকে ক্রমাগত চাপে ফেলতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেন শহিদুলকে। প্রয়োজনে টাকা খরচ করে, তাদের উপহার পাঠিয়ে নিজেদের গোপন মিশনের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি করানোর জন্য শহিদুলকে অনুরোধ করেন তারা। এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে সকলকে নিয়ে মাঠে নামার নির্দেশনা আসে দুই বিদেশির ই-মেইল থেকে। প্রয়োজনে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে সহিংসতার রূপ দিয়ে সরকারের টনক নড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শহিদুল আলমকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। সহিংসতায় সরকারকে বাধ্য করা হবে সকল দাবি মেনে নিতে। এছাড়া শহিদুল আলম দুজনকে বার্তা দেন যে বাংলাদেশের অবস্থা ভাল না। যেকোন দাবি আদায় করতে সহিংসতা করলে সরকার বাধ্য হয়ে সেগুলো মেনে নেয়, এমন মিথ্যা এবং উসকানীমূলক তথ্যও পাচার করেছেন শহিদুল আলম। এছাড়া আইএসআইয়ের চর এবং পাকিস্তানের বিতর্কিত চিত্রশিল্পি সেলিমা হাসমির সাথেও মেইলে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ ও সরকার দলীয় কর্মীদের সহিংসতায় জড়িত থাকার গুজব সম্পর্কিত তথ্য পাচার করেন। বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেলিমা হাসমির মাধ্যমে আইএসআইকে পাচার করে দিয়েছেন শহিদুল আলম। বাংলাদেশকে একটি অনুন্নত, গরীব দেশ হিসেবে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরে দেশকে ছোট করেছেন তিনি। শহিদুল আলমের এমন কাজ সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করতেই শহিদুল আলম বিদেশি শত্রুদের পরামর্শে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। একাজে তাকে সহায়তা করেছে একাধিক প্রভাবশালী দেশি ও বিদেশি।
76d61374-8347-435d-9f77-003f809e311c
সময়নউিজবিডি.কম অতিরিক্ত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুরের বার আউলিয়া বিলের সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারীভাবে করা ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় নাম নেই সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের এ বিলের। কেউ খোজও নেয়নি এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। সরকারী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। বিরামপুরের বার আউলিয়া বিলে অন্যবছর এ সময় ট্রাকটর-ভ্যানগাড়ির ভীড় থাকতো। জমি থেকে ফসল কেটে এসব যানে তোলে সোজা নিয়ে যাওয়া হতো কৃষকের বাড়িতে। এ বারের দৃশ্য অন্যরকম। যেন সাগর হয়ে উঠেছে বার আউলিয়ার বিল। তারপরও কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ফসল কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন দিশেহারা কৃষকদের কেউ কেউ। গত ২৯ এপ্রিল সরজমিনে গেলে এদৃশ্য চোখে পড়ে বিলের দক্ষিন পাশে। এর উজানে গোয়াবিল। এই বিলের জমিগুলোতে পানি না লাগলেও পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় আগামই চলছে ধানকাটা। বার আউলিয়া বিলে ৯ কানি জমির মালিক আসাদ মিয়া। তার সব জমির ফসলই গ্রাস করেছে পানি। একমুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারেননি । বিলের পাড়েই দিনভর ঘুরে বেড়ান,পানি কমলে কিছু ফসল যদি বাচানো যায় সে আশায়। কিভাবে চলবে তার সংসার তা ভেবেই দিশেহারা আসাদ। বলেন-৭/৮ দিন ধরে এমনভাবে বৃষ্টি হতে আমার জীবনে দেখিনি। জোয়ারের পানি হইলে কিছু ফসল কাটতে পারতাম। কিন্তু দিনরাত সমানে বৃষ্টির কারনে তা পারিনি। অবস্থা কিয়ামতের মতো মনে হয়েছে। শুধু আসাদ নয়,বিরামপুর গ্রামের শাহআলম,হারিছ মিয়া,মো: কবির মিয়া,আবদুর রহমান ভূইয়া, ইয়াছিন মিয়া সবার দশা একই। তাদের প্রত্যেকেই ৪/৫ কানি করে জমির ফসল হারিয়েছেন। কিছু জমির ধান কাটতে পারলেও সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। আছে তাদের ঋন পরিশোধের চিন্তাও। হারিছ মিয়া জানান- তার ৪ কানি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার নিজের কোন জমি নেই। বর্গা নেয়া জমিতে ব্যাংক থেকে আনা ঋনে ফসল লাগিয়েছিলেন। আলমগীর মিয়ার নষ্ট হয়েছে ৩ কানি জমির ধান। তিনি জানান- কিছু ধান কাটতে পেরেছিলেন। নৌকায় করে সেগুলো নিয়ে আসার পথে নৌকা উল্টে গিয়ে তাও শেষ হয়ে যায়। নৌকা বোঝাই ধান তলিয়ে যায় পানিতে। আবদুর রহমান ভ‚ইয়া মোট ৬ কানি জমিতে বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের ধান লাগিয়েছিলেন। এরমধ্যে বিআর-২৮ ধান হাবুডুবু করে কেটে বাড়ি এনে তুলেছেন। কিন্তু ৪ কানিতে লাগানো বিআর-২৯ ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। বিরামপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়া জানান- সবার ধানই পইচ্চা সাফ হয়ে গেছে। তার নিজের ক্ষতিও অনেক। তিনি বলেন-সরকার সাহায্য করলে সুবিধা হবে। যারা জমি চাষ করেছে প্রত্যেকের এনজিও’র ঋন আছে। ফসলের এই অবস্থা হলেও এনজিও’র লোকজন টাইম টু টাইম এসে ধর্না দিচ্ছে বলে জানান ইয়াছিন। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর,মাছিহাতা,রামরাইল,বাসুদেব ও পৌরএলাকার ১৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নাম নেই সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অভিযোগ করেন তাদের খোজখবর নিতে কেউই আসেনি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ,কেউই না। অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়,ভলাকুট,কুন্ডা,গোয়ালনগর,নাসিরনগর,বুড়িশ্বর,গোকর্ন,পূর্বভাগ,হরিপুর ও গুনিয়াউক ইউনিয়নের ৩৩১০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিজয়নগরের চর-ইসলামপুর,পত্তন,হরষপুর,বুধন্তী,চান্দুরা ও চম্পকনগর ইউনিয়নের ৯৯০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঞ্চারামপুরের মানিকপুর, আইয়ুবপুর, সদর, ছয়ফুল্লাহকান্দি ও উজানচরের ৮০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আবু নাছের জানিয়েছেন- মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে এখনো। পানি আরো বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় কৃষকদের আগাম ফসল কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি । সময়নিউজবিডি.কম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, আজকের প্রজন্মই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে, তাই আজকের প্রজন্মকে শুধু শিক্ষিতই নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার বিকেলে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, আমরা আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই, সেজন্যই কাজ করছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই একদিন তোমাদের মধ্য থেকেই একজন, বিচারপতি, ডাক্তার, আইজিপি, কেবিনেট সচিব, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে আসুক। তিনি বলেন আমরা চাই তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে সমাজে সু-প্রতিষ্ঠিত করে পরিবারের মুখ উজ্জল করবে, সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমরা তোমাদেরকে উচ্চতরস্থানে নিয়ে যাবে যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী তোমাদেরকে নিয়ে অহংকার করবে। মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। জাতির জন্য কিছু করার সুযোগ তিনি আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক ও ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি মোকতাদির-ফাহিমা কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদানের ঘোষনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জান্নাতুল নাঈমা ও শাহীনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ফিরোজা পারভীন। পরে প্রধান অতিথি ১৭৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লক্ষাধিক টাকা বৃত্তি প্রদান করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় থেকে ১শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় থেকে আকষ্মিক বন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জন্য ১শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে। জীবনে সাফল্য লাভে বিল গেটসের সাত পরামর্শ সময়নিউজবিডি ১.যত দ্রুত সম্ভব শুরু করুন ‘যৌবনে কী-ই না করতে পারতাম!’ বুড়ো বয়সে এই আফসোস যেন আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ২.প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে “জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করে নিন। দশ সপ্তাহ পরপর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে ‘ব্রেক’ বলেও কিছু নেই।” অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। ৩.নিজেই নিজের বস হোন আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তার স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের পেছনে খরচ করুন। ৪.’না’ বলা শিখুন আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না। এই ২৪ ঘণ্টাকে কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন, “জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। সে বলেছিল, তোমাকে ‘না’ বলতে জানতে হবে।” ৫.প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন, প্রত্যয়ী হোন সব সফল উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই হবে। সফল মানুষরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন কাজটিকে সহজে করেন। ৬.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল যত বই-ই পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই দেন না কেন- এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি হতে হবে। ৭.আশা হারাবেন না লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিল গেটস বলেন, “আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যা আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ‘মিথ্যা হতাশা’ বলেও কিছু আছে।” ### বর্তমান সরকার পিছিয়ে থাকা জনগোষ্টীকে মুল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে—–জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান সময়নিউজবিডি.কম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার অবহেলিত বঞ্চিত পিছিয়ে থাকা জনগোষ্টী এবং সমাজের বিশেষ শ্রেণীর মানুষকে মূল স্রোধারায় আনতে নানা উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। হিজরা জনগোষ্টীকে কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হচ্ছে। এই সবই সরকারের উন্নয়নের অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সফলভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে হিজরাদের মাঝে কর্মউদ্দীপনা সৃষ্ঠি হয়েছে। হিজরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাদের প্রতিভা রয়েছে সেই প্রতিভার বিকাশে আমরা কাজ করবো। তিনি বলেন চেষ্টা থাকলে অনেক কিছুইতেই আমরা সফল হতে পারবো। তিনি হিজরা জনগোষ্টীকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষতা অর্জন এবং প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানে সৎ পথে সাবল¤^ী হওয়ার আহবান জানান। গত ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের মিলনায়তনে সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে হিজরা জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়নে ৫০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান,সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আহমেদ, জেলা বাজার কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর আহম্মেদ খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আল আমীন শাহীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আখাউড়া সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মাহমুদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কর্মকর্তা রওশান আরা, প্রশিক্ষক স্মৃতি সবুর, হিজরা জনগোষ্টীর পক্ষে আলম আরা মিনু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শাপলা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এসএম শাহীন। ৫০ দিন ব্যাপীী বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণে ৫০ জন হিজরা অংশ নিচ্ছে। তিতাস নদীতে ঘাটলা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন গুনগত মান বজায় রেখে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে– চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনির কামাল সময়নিউজবিডি.কম গত ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনে আসা বিচার প্রার্থীদের সুবিধার্থে তিতাস নদীরপাড়ে ঘাটলা ও ভবনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনির কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রের শরাফ উদ্দিন আহমেদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট মোঃ সুলতান সোহাগ উদ্দিন, গণপূর্ত বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ সহকারী প্রকৌশলী সামসুল করিমসহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অন্যান্য কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ। পরিদর্শনকালে গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্মাণ সংশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনির কামাল বলেন, আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের সুবিধার্থে ভবনের পাশে তিতাস নদীর পাড়ে ঘাটলা ও ভবনের নিরাপত্তার সার্থে সীমানা প্রাচীর নির্মাণটি অত্যন্ত— জরুরী। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজের গুনগত মান বজায় রেখে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্মাণ কাজে কোন রকম অনিয়মকে ছাড় দেওয়া হবে না।
94702b77-4383-4d9b-a85b-38911bb86ead
সময়নউিজবিডি.কম অতিরিক্ত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুরের বার আউলিয়া বিলের সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারীভাবে করা ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় নাম নেই সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের এ বিলের। কেউ খোজও নেয়নি এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। সরকারী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। বিরামপুরের বার আউলিয়া বিলে অন্যবছর এ সময় ট্রাকটর-ভ্যানগাড়ির ভীড় থাকতো। জমি থেকে ফসল কেটে এসব যানে তোলে সোজা নিয়ে যাওয়া হতো কৃষকের বাড়িতে। এ বারের দৃশ্য অন্যরকম। যেন সাগর হয়ে উঠেছে বার আউলিয়ার বিল। তারপরও কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ফসল কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন দিশেহারা কৃষকদের কেউ কেউ। গত ২৯ এপ্রিল সরজমিনে গেলে এদৃশ্য চোখে পড়ে বিলের দক্ষিন পাশে। এর উজানে গোয়াবিল। এই বিলের জমিগুলোতে পানি না লাগলেও পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় আগামই চলছে ধানকাটা। বার আউলিয়া বিলে ৯ কানি জমির মালিক আসাদ মিয়া। তার সব জমির ফসলই গ্রাস করেছে পানি। একমুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারেননি । বিলের পাড়েই দিনভর ঘুরে বেড়ান,পানি কমলে কিছু ফসল যদি বাচানো যায় সে আশায়। কিভাবে চলবে তার সংসার তা ভেবেই দিশেহারা আসাদ। বলেন-৭/৮ দিন ধরে এমনভাবে বৃষ্টি হতে আমার জীবনে দেখিনি। জোয়ারের পানি হইলে কিছু ফসল কাটতে পারতাম। কিন্তু দিনরাত সমানে বৃষ্টির কারনে তা পারিনি। অবস্থা কিয়ামতের মতো মনে হয়েছে। শুধু আসাদ নয়,বিরামপুর গ্রামের শাহআলম,হারিছ মিয়া,মো: কবির মিয়া,আবদুর রহমান ভূইয়া, ইয়াছিন মিয়া সবার দশা একই। তাদের প্রত্যেকেই ৪/৫ কানি করে জমির ফসল হারিয়েছেন। কিছু জমির ধান কাটতে পারলেও সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। আছে তাদের ঋন পরিশোধের চিন্তাও। হারিছ মিয়া জানান- তার ৪ কানি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার নিজের কোন জমি নেই। বর্গা নেয়া জমিতে ব্যাংক থেকে আনা ঋনে ফসল লাগিয়েছিলেন। আলমগীর মিয়ার নষ্ট হয়েছে ৩ কানি জমির ধান। তিনি জানান- কিছু ধান কাটতে পেরেছিলেন। নৌকায় করে সেগুলো নিয়ে আসার পথে নৌকা উল্টে গিয়ে তাও শেষ হয়ে যায়। নৌকা বোঝাই ধান তলিয়ে যায় পানিতে। আবদুর রহমান ভ‚ইয়া মোট ৬ কানি জমিতে বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের ধান লাগিয়েছিলেন। এরমধ্যে বিআর-২৮ ধান হাবুডুবু করে কেটে বাড়ি এনে তুলেছেন। কিন্তু ৪ কানিতে লাগানো বিআর-২৯ ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। বিরামপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়া জানান- সবার ধানই পইচ্চা সাফ হয়ে গেছে। তার নিজের ক্ষতিও অনেক। তিনি বলেন-সরকার সাহায্য করলে সুবিধা হবে। যারা জমি চাষ করেছে প্রত্যেকের এনজিও’র ঋন আছে। ফসলের এই অবস্থা হলেও এনজিও’র লোকজন টাইম টু টাইম এসে ধর্না দিচ্ছে বলে জানান ইয়াছিন। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর,মাছিহাতা,রামরাইল,বাসুদেব ও পৌরএলাকার ১৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নাম নেই সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অভিযোগ করেন তাদের খোজখবর নিতে কেউই আসেনি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ,কেউই না। অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়,ভলাকুট,কুন্ডা,গোয়ালনগর,নাসিরনগর,বুড়িশ্বর,গোকর্ন,পূর্বভাগ,হরিপুর ও গুনিয়াউক ইউনিয়নের ৩৩১০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিজয়নগরের চর-ইসলামপুর,পত্তন,হরষপুর,বুধন্তী,চান্দুরা ও চম্পকনগর ইউনিয়নের ৯৯০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঞ্চারামপুরের মানিকপুর, আইয়ুবপুর, সদর, ছয়ফুল্লাহকান্দি ও উজানচরের ৮০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আবু নাছের জানিয়েছেন- মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে এখনো। পানি আরো বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় কৃষকদের আগাম ফসল কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি । সময়নিউজবিডি.কম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, আজকের প্রজন্মই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে, তাই আজকের প্রজন্মকে শুধু শিক্ষিতই নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার বিকেলে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, আমরা আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই, সেজন্যই কাজ করছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই একদিন তোমাদের মধ্য থেকেই একজন, বিচারপতি, ডাক্তার, আইজিপি, কেবিনেট সচিব, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে আসুক। তিনি বলেন আমরা চাই তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে সমাজে সু-প্রতিষ্ঠিত করে পরিবারের মুখ উজ্জল করবে, সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমরা তোমাদেরকে উচ্চতরস্থানে নিয়ে যাবে যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী তোমাদেরকে নিয়ে অহংকার করবে। মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। জাতির জন্য কিছু করার সুযোগ তিনি আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক ও ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি মোকতাদির-ফাহিমা কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদানের ঘোষনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জান্নাতুল নাঈমা ও শাহীনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ফিরোজা পারভীন। পরে প্রধান অতিথি ১৭৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লক্ষাধিক টাকা বৃত্তি প্রদান করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় থেকে ১শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় থেকে আকষ্মিক বন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জন্য ১শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে। জীবনে সাফল্য লাভে বিল গেটসের সাত পরামর্শ সময়নিউজবিডি ১.যত দ্রুত সম্ভব শুরু করুন ‘যৌবনে কী-ই না করতে পারতাম!’ বুড়ো বয়সে এই আফসোস যেন আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ২.প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে “জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করে নিন। দশ সপ্তাহ পরপর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে ‘ব্রেক’ বলেও কিছু নেই।” অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। ৩.নিজেই নিজের বস হোন আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তার স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের পেছনে খরচ করুন। ৪.’না’ বলা শিখুন আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না। এই ২৪ ঘণ্টাকে কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন, “জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। সে বলেছিল, তোমাকে ‘না’ বলতে জানতে হবে।” ৫.প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন, প্রত্যয়ী হোন সব সফল উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই হবে। সফল মানুষরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন কাজটিকে সহজে করেন। ৬.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল যত বই-ই পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই দেন না কেন- এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি হতে হবে। ৭.আশা হারাবেন না লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিল গেটস বলেন, “আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যা আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ‘মিথ্যা হতাশা’ বলেও কিছু আছে।” ###
496e7d0a-be81-4cb0-9f5d-c1641fa52423
আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের কারিগরি কর্মসূচিতে পর্যাপ্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান অস্ট্রিয়াতে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের ৬০ বছর পূর্তিতে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের কারিগরি কর্মসূচিতে পর্যাপ্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান সময়নিউজবিডি আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের কারিগরি কর্মসূচিতে পর্যাপ্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিও আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানো উচিত। ’ তিনি নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও জ্ঞান বিনিময়ের মধ্য দিয়ে অংশীদারির ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘সায়েন্স ডিপ্লোমেসি’ বা বিজ্ঞানভিত্তিক কূটনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জ্ঞানচর্চা ও বিনিময়ের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অংশীদারি নিশ্চিত করতে আমরা বিজ্ঞান কূটনীতির ওপর জোর দিচ্ছি। ’ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের (আইএইএ) ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল ৩০ মে মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সকালে ভিয়েনা সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া দুই দিনের এই সম্মেলনে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে আইএইএর সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া সে সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (ওয়াজেদ মিয়া) দৃঢ় ও দূরদর্শী পদক্ষেপ শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রূপায়ণের সহায়ক হয়েছে। ’ বাংলাদেশকে ৪৫ বছর ধরে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসায় আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশনকেও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ৭ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন আমাদের এ অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত। ’ পারমাণবিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের উন্নয়নের দ্বার খুলে দেবে এবং উন্নয়ন সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে—এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নিউক্লিয়ার এনার্জি সোর্স ব্যবহার করবে। ’ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশের দৃঢ় অস্থানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে এবং পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনে আমাদের লক্ষ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পুরোপুরি ব্যবহার করা। ’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী সকালে ভিয়েনা সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছলে আইএইএর মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো তাঁকে স্বাগত জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়। অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদারে ঢাকা-ভিয়েনার ঐকমত্য : পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ঢাকা ও ভিয়েনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান কার্ন গতকাল ফেডারেল চ্যান্সেলারিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতেও এসব কথা বলেন। কার্ন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রিয়ায় প্রথম সরকারি সফর ঢাকা ও ভিয়েনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তাঁর এই অস্ট্রিয়া সফর ঢাকা ও ভিয়েনার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে গতিশীলতা সঞ্চার করবে। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা ভিয়েনায় আবাসিক মিশন চালু করেছি, যেটা আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির এবং আরো কাছাকাছি আসার আন্তরিকতারই পরিচায়ক। ’ শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ও অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর যৌথভাবে খুঁজে বের করেছেন তাঁদের দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে কৃষি, পশু পালন, যোগাযোগ, ব্যবসা ও বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রী এসময় তাঁকে এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের ভিয়েনায় উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদর্শন করায় অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাত হানার সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে এ ধরনের সাইক্লোন বাংলাদেশে আঘাত হানার আর একটি কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এই সাইক্লোনের বিষয়ে সরকার ত্বরিত এবং সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আমাদের সক্ষমতার বিকাশ প্রশংসনীয়। বৈঠকের পর ফরেন অফিস কনসালটেশন বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনের এই সরকারি সফরে গতকালই শেখ হাসিনা অস্ট্রিয়ার ফেডারেল প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান ডার ব্যালেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভিয়েনা থেকে রওনা হয়ে আজ বুধবার সকালে তাঁর দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতা তুলে ধরুন : এর আগে সোমবার রাতে ভিয়েনার একটি হোটেলে বাংলাদেশি কমিউনিটির দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের বাইরে বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতা ও দুর্নীতির চিত্র আপনারা তুলে ধরবেন। ’ ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরীহ মানুষ হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত লবিং করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরীহ লোকদের হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হত্যা ও আগুন সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ভিয়েনায় গ্রান্ড হোটেলে আওয়ামী লীগ অস্ট্রিয়া চ্যাপ্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খন্দকার হাসিবুর রহমান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আইসিটি ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত ছিলেন। অল-ইউরোপ আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল দাসগুপ্ত, আওয়ামী লীগ ইউকে চ্যাপ্টার সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, অল-ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ### সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরছেন।। গুজব বললেন বোন রিমি সময়নিউজবিডি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরছেন ” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার নামে থাকা একটি পেইজে। তবে তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে, সোহেল তাজের বোন ও সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি একে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন । এদিকে, শেখ রেহানার নামে পরিচালিত ফেইসবুক পেইজের পোস্টটিতে লেখা হয়েছে,’মন্ত্রিসভায় ফিরছেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দীন আহম্মদ (বঙ্গতাজ)-এর সুযোগ্য সন্তান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এই ফেইসবুক পেইজটির সূত্র ধরে সোহেল তাজের মন্ত্রিসভায় ফিরে আসার খবর বেশ কিছু গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। তবে, ওই পেইজটিই আসলে ভুয়া। শেখ রেহানা নিজে বা তার পক্ষে কেউ এরকম পেইজ পরিচালনা করেন না। সিমিন হোসেন রিমি এ ব্যাপারে চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে জানান, তার কাছে এমন কোন তথ্য আসেনি। ‘এ ধরণের কোন যোগাযোগই হয়নি। সোহেল তো আমার সঙ্গেই থাকে। সে এসব ব্যাপারে সবকিছু আমাকে বলে। এমন কিছু হলে অন্তত আমি জানতাম। আমি যতটুকু জানি, আপাতত এমন কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তার নেই।’ সিমিন হোসেন রিমি আরো বলেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটলে সোহেল তাজ অবশ্যই সেটি নিজেই ফেইসবুকে দিতেন কিংবা সংবাদ মাধ্যমকে জানাতেন। আপাতত বা অদূর ভবিষ্যতে সোহেল তাজের আবার দলে বা রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন সুহেল তাজের বোন সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সবচেয়ে ছোট ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে সোহেল তাজ পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর সোহেল তাজের আবারও মন্ত্রিসভা এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরে আসা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে সেগুলো শেষ পর্যন্ত আর বাস্তব হয়নি। ### সরাইলে অটিজম সমস্যাকবলিত শিশু ও যুবকদের প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মশালা শফিকুর রহমান, সরাইল প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা মিলনায়তনে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজের সহযোগিতায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে গতকাল ২৯ মে সোমবার সকালে অটিজম সমস্যাকবলিত শিশু ও যুবকদের প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতনামুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্টানে উপজেলা কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মূদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সহকারী অধ্যাপক নাজমা পারভীন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃজহিরুল ইসলাম প্রমুখ। ### ডিএসইসির ফ্যামিলি ডে ২০১৭ র্যাফেল ড্র’র প্রথম পুরস্কার হস্থান্তর সময়নিউজবিডি ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও ফ্যামিলি ডে ২০১৭ অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্র’র প্রথম পুরস্কার ওয়ালটনের সৌজন্যে ফ্রিজ বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আজ ৩০ মে মঙ্গলবার ওয়ালটন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিজয়ী দৈনিক যুগান্তরের সাব-এডিটর মাসউদ-বিন আব্দুর রাজ্জাকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (পিআর এন্ড মিডিয়া) মোঃ হুমায়ুন কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর (ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ও নিউজ টুডে’র সিনিয়র সাব-এডিটর এনায়েত ফেরদৌস, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মো. এনামুল হক, সহ-সভাপতি শরীফ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম সোহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ মান্নান মিয়া, দফতর সম্পাদক শামীম আহসান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হেমায়েত হোসেন, সিকান্দার ফয়েজ, মো. আলিফ উলøাহ খান, মাসউদ-বিন আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য আবদুস সালাম মাহমুদ, রেদোয়ান খন্দকার প্রমুখ। ###
260e9154-bc07-4e81-9055-9599999b909c
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দদূষণ ক্রমাগত একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছে ছোট শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মানুষের ভীরে সকাল থেকে মুখরিত। বন্ধু অন্তরকে নিয়ে গেছি হাসপাতালে। এখানেও ভীর, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের মোটর সাইকেল জটলা করে আছে এখানে সেখানে। যতগুলো দেখলাম তাতে মনে হলো এসবের বাহকদের দিয়েই ভরে যাবে হাসপাতালের বারান্দা রুম ইত্যাদী ইত্যাদী। হাসপাতালে ঢুকে দেখি ডাক্তারদের রুমের সামনে রোগীদের জটলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিনেমা হল থাকাকালে টিকেট কাউন্টারে যেরকম ভীর দেখতাম সেই ভীরের মতো। কার আগে কে যাবে। বেলা ১০ টা অনেক চিকিৎসকই কর্তব্যস্থলে নেই। রুমে রুমে চেয়ারগুলো ফাঁকা,বাইরে রোগীর লাইন ঠিকই আছে। ডাক্তার কোথায়? একজন বল্লো,“ স্যার কলে গেছেন, ডাকলেই আসবে।” বুঝার আর বাকি রইলো না। অন্তর রসিকতা করে বলেই ফেল্ল , ডাক্তার সাহেব চিকিৎসা করছেন ঠিকই সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নয়, হাসপাতালের পাশেই নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।” নিজ প্রতিষ্ঠান মানে অন্তর বুঝালো, অধিকাংশই হাসপাতালে আশপাশে বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, অংশীদার, পার্সেনটিসের পার্টনার। সরকারী হাসপাতালের সরকারী কর্মকর্তারা সরকারীও বেসরকারীও। আমি বল্লাম এসব পুরনো আর স্বাভাবিক কথা নতুন কিছু নয়। সয়ে গেছে আমাদের। অন্তরের রসিকতার শেষ নেই, সে বল্ল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে পরিমাণ বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র আছে তা দেখলে রোগ না থাকলেও রোগীদের চিকিৎসার কথা মনে হয়ে যায়। এবারও সে বুঝাল, অর্থাৎ সুস্থ মানুষ বাড়ি থেকে শহরে বের হয়েছে, বের হলেই দেখে এখানে সেখানে এমনকি আবাসিক এলাকার স্থানে স্থানে হাসপাতাল ক্লিনিক হয়েছে এবং নতুন নতুন হচ্ছেই। হাসপাতাল ক্লিনিক আর ডাক্তারদের নাম দেয়া সাইন বোর্ড, দেয়াল লিখন, দালাল, ফার্মেসী ইত্যাদী সারা শহর ভরা, তিন চাকার রিক্সার পেছনেও এখন ডাক্তার আর চিকিৎসা কেন্দ্রর বিজ্ঞাপন। এসব দেখে অনেকেই সামান্য চুলকানি ,চিনচিন ব্যথা অঙ্গে অনুভব করেন, আর এই অনুভব থেকেই চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোতে জমে ভীর। সকাল থেকে রাত ১ টা ২ টা পর্যন্ত এমনকি কোথাও কোথাও ভোর পর্যন্ত রোগীর ভীর থাকে এই শহরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে নানা কথাই পত্রিকায় দেখি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তারাও বিভিন্ন কথা বলেন। সহকর্মী সাংবাদিকরাও লেখা লেখি করেন। পথে বের হলেই অনেকে আবদারও করেন ভাই একটু লেখেন না। জনতার আবদারে, লেখালেখি আর বলাবলিতে কতটুকু কি হচ্ছে তা বুঝতে পারি না। যা হোক, কথা না বাড়িয়ে অন্তরকে নিয়ে হাসপাতালের ভেতরই একটি কেন্টিনে চা খেতে বসলাম। হঠাৎ শুনি মাইকের শব্দ , হাসপাতাল অভ্যন্তরে সেই শব্দ ভেসে আসছে বেশ জোরেই। কান শয় না এমন ভাবেই শুনছি মাইকিং“ডাক্তার-ডাক্তার-ডাক্তার,অমুক ডিগ্রীধারী অমুক ডাক্তার এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আর ঢাকা নয়, ডাক্তার সাহেব প্রতিদিন এই সময়ে এই ক্লিনিকে বসবেন।” ঘোষণা শুনলাম মনোযোগ দিয়ে। রোগী দেখার সময় স্থান বলছে তবে ভিজিট রেট বলেনি। হাসপাতালে শুয়ে থাকা অসুস্থ রোগীরাও শুনছে রিক্সায় লাগানো মাইকের বড় আওয়াজের এই ঘোষণা। চা খাওয়া শেষ, বের হলাম। হাসপাতালের বিপরীতে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখি আরেক মাইক। তিন চাকার ভ্যানে মাইক লাগিয়ে, কিছু ট্যাবলেট আর কয়েকটা মরা ইদুর ছড়িয়ে, একজন ঘোষনা করছে “ইন্দুরের ঘরে ইন্দুর, ঘরের ইন্দুর -বাইরের ইন্দুর, ক্ষেতের ইন্দুর গাইচ্ছ্যা ইন্দুর, চোরার ঘরে চোরা, ইন্দুইরা চোরা, সব করে ধ্বংস , আমার ট্যাবলেট খাওয়াইলে মইরা যাইবো চোরা কাটা সব ইন্দুরের বংশ। ইন্দুর মারতে নেন ভাই আমার এই মহৌষধ। একপুটলায় সব শেষ। ” অন্তর হেসে বল্লো এই যে আরেক ডাক্তার। আবার ও রসিকতা তার, বল্লো “এ যে ইন্দুর মারার অভিজ্ঞ ডাক্তার”। তবে এই ঘোষণা আগের ঘোষণার চেয়ে ডেসিবল মাত্রায় কম। একসময় দু ঘোষণা পাশাপাশি হয়ে গেছে। ঘোষণার শব্দগুলো একাকার হয়ে কোনটাই বুঝা যাচ্ছে না। এরি মাঝে জরুরী শব্দে পাশ দিয়ে যাচ্ছে দুটি গাড়ি, প্রথমে ভেবেছিলাম হাসপাতালের সামনের এম্বুলেন্স । পরে দেখি ,এম্বুলেন্স না সাধারণ গাড়ি এতে জরুরী শব্দ সংযোজন হয়েছে। এই জরুরী শব্দ এখন এই শহরে সৌখিনতায় পরিণত হয়েছে গাড়ির চালকদের। জরুরী রোগী থাক বা না থাক শব্দটা বাজাতে তারা আনন্দই পায়। জরুরী কাজে ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ , রোগীর গাড়ি জরুরী শব্দ ব্যবহারের কথা থাকলেও তা এখানে মানা হয়না । তদারকীরও কেউ নেই , তাই জরুরী শব্দ প্রায়শই শহর কাঁপিয়ে তুলে। তিন চাকার রিক্সাতে এখন আগের মতো বাটির ঘন্টি নেই। যান্ত্রিক সুইচে টেপা বড় আওয়াজের বাহারী পুতপাত শব্দ এখন, কোন কোনটিতে হিন্দি বাংলা গানও বাজে। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে শুনছিলাম হরেক রকম শব্দ, কর্ণইন্দ্রিয়কে গরম করে ফেলেছে। শব্দদূষণ এখানে এখন ‘শব্দসন্ত্রাস’ হয়ে গেছে। মানুষ শব্দের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। বাস-ট্রাকের বিকট শব্দের হাইড্রোলিক হর্ন, যততত্র মাইকের কান ঝালাপালা করা আওয়াজ, উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্সে বাজানো গান-বাজনা, ইট ভাঙা মেশিনের টানা অসহ্য শব্দ, পাইলিং, লোহার রড কিংবা টাইলস কাটার আওয়াজ, জেনারেটরের বিরক্তিকর শব্দসহ নানা শব্দে আমাদের এখন চেনা এবং শোনা। শহরে অনুমোদন নেয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বয়ান, ঘোষণা ইত্যাদিতো দিনে রাতে আছেই , কারো ঘুম হোক আর না হোক। যা হোক, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের জন্য শব্দের সহনীয় মাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডেসিবল। ৬০ ডেসিবল শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তিকে সাময়িকভাবে নষ্ট করে দিতে পারে আর ১০০ ডেসিবল শব্দে মানুষ তার শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়েও ফেলতে পারে। আইন অনুযায়ী শব্দ সংক্রান্ত বিধিমালা অমান্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধও। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী শব্দ সংক্রান্ত আইন অমান্য করলে প্রথমবার তিন মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা দুই হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধে ছয় মাসের কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। মোটরযান অধ্যাদেশেও অনেক ধারা রয়েছে যদিও তার বেশিরভাগই প্রয়োগ হচ্ছে না। শব্দদূষণের ভয়াবহতাকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যে কোনো ধরনের উচ্চশব্দই হৃদরোগীর জন্য খুব ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে মানুষের করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া নিয়মিত উচ্চ শব্দের কারণে বিরক্তিবোধ, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মনসংযোগের সমস্যা, মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, বদহজম, পেপটিক আলসার, ঘুমের ব্যাঘাত এবং কানে কম শোনার মতো ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকদের মতে, শব্দদূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়ে থাকে রোগী ও শিশুরা। তবুও শব্দদূষণকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ বা শহরবাসী। নীরব ঘাতক এই শব্দদূষণ ক্রমাগত একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছে। এসব ভেবে আর বাহারী শব্দ শুনে মাথাটা ব্যথা করছে। হাসপাতাল ঢুকে বেরিয়ে এসেছিলাম , ভাবছি আবারও হাসপাতালে যাব। ডাক্তার দেখাতে হবে। লেখকঃ সিনিয়র সহ সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব , সম্পাদক নতুনমাত্রা। ### বুয়েট ক্যাম্পাসে একজন ছাত্রীকে নাজেহালের ঘটনায় ঢাবি ও বুয়েট’র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের সহাবস্থানের কথা আমরা সবসময় শুনে এলেও গত কয়েকদিন এর বিপরীত খবর পাওয়া যাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, তুচ্ছ কারণে বুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘাতের শুরু। এরপর বেশ কয়েকবার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের উপর হামলার অভিযোগে গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আটদফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে তারা ক্লাস এবং সব ধরণের পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দিয়েছে। তাদের উপর হামলায় আমরা অবশ্যই নিন্দা জানাই এবং প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার পক্ষপাতী। তবে একইসঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগের দিকেও নজর দেয়া দরকার। পাশাপাশি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একে অন্যের ক্যাম্পাসে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এ কারণে কাউকে বহিরাগত বলে কারও উপর হামলার ঘটনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি বুয়েট ক্যাম্পাসে একজন ছাত্রীকে নাজেহালের ঘটনাও ঘটেছে! এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর মানসিকতা প্রশংসার যোগ্য। তিনি ঢাবির শিক্ষার্থী বন্ধুকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের হামলার মুখে ফেলে না গিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বন্ধুকে এভাবে রেখে হলে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। এ কারণে তাকেও বুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে নাজেহাল হতে হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে এ কারণে আবার নিজের হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানোর বিষয়টিও আমরা সমর্থন করি না। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দুই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা আরও সংযত এবং পরিপক্ক আচরণ আশা করি। এটা অবশ্য শুধু আমাদের আশা নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষও এমনটাই আশা করে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের রিপোর্ট বলছে, ঢাবি এবং বুয়েটের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পেছনে বছরে গড়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করছে সরকার। যদিও বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে টাকার এই অংক অনেক কম, তবুও শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে জনগণের কষ্টার্জিত টাকা তাদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, কোনভাবেই নিজেদের মধ্যে মারামারির মহড়ার জন্য নয়। সবাইকে শিশুতোষ আচরণ বন্ধ করে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে আমরা আহ্বান জানাই। ### সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকা থেকে রিভলবারসহ এক সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সময়নিউজবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে একটি বিদেশী রিভলবারসহ মোঃ খোরশেদ আলম নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার রাতে শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নবীর হোসেন এর দিক-নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জিয়াউল হক (তদন্ত), সঙ্গীয় অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ দেলোয়ার হোসাইন (অপারেশন), এসআই নাজমুল আলম, এসআই হাবিবুর রহমান, এএসআই আবু আহম্মেদ সুজন ও এএসআই সাহেদুল ইসলাম সঙ্গীয় কং/৯৪৫ মোঃ আঃ রহমানসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত্রে বিশেষ অভিযানে শিমরাইলকান্দি দাশপাড়া এলাকা থেকে শিমরাইলকান্দির ( হাজীবাড়ী ) মৃত আশকর আলীর ছেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোঃ খোরশেদ আলমকে ১টি বিদেশী রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অত্র থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। ### বিজয়নগর থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী ও ৩ চোর গ্রেপ্তার বিজয়নগর সংবাদদাতা, সময়নিউজবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী ও ৩ চোর গ্রেপ্তার। গত ২৯ অক্টোবর রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের আলীনগর থেকে ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আনু মিয়া- (৪৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত আবু লাল মিয়ার ছেলে আনু মিয়া কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইসলামপুর ফাঁড়ির ( ইনচার্জ) উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুছ সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ আরো জানায়, তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অপরদিকে, বিজয়নগরে বুধন্তী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জজ মিয়ার বাড়িতে সংঘটিত চুরির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে ৩ চোর আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাত ৭টায় উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে আলমগীর হোসেন-(৩০) কে আটক করলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চান্দুরা বাস স্ট্যান্ডের অদূরে বিন্নিঘাট গ্রামের ছূর রহমানের ছেলে আক্কাস-(২৯) ও জালালপুর গ্রামের মন্নাফ-(২৮)কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে । চুরির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তত রয়েছে মর্মে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে ইসলামপুর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ( এস.আই) মোঃ আব্দুছ সুলতান জানান, বুধন্তী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জজ মিয়ার বাড়িতে সংঘটিত চুরির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আনু মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, অপর তিন চোরকে চুরি দায়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ### রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিজানুর রহমান ও তার বান্ধবী হত্যার ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। আর তার বান্ধবী সুমাইয়া নাসরিনকে হত্যা করা হয়েছিল ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে। প্রেমঘটিত কারণে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চার তরুণ মিলে। পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এর মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরেকজনকে খুঁজছে পিবিআই। পিবিআই প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যা বলেছিল দুই পরিবারও তা মেনে নিয়েছিল। পিবিআই মামলাটি পুনঃতদন্তের আগ্রহ দেখালে আদালত পাঁচ মাস আগে এ বিষয়ে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত বছরের ২২ এপ্রিল রাজশাহীর হোটেল নাইসের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে মিজানুর রহমান ও তার বান্ধবী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া নাসরিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মিজানুরের লাশ ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো ছিল। আর সুমাইয়ার লাশ ছিল বিছানায়। মিজানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার বাবা উমেদ আলী একজন কৃষক। সুমাইয়ার পরিবার থাকে বগুড়ায়। তিন বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা আবদুল করিম পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। ঘটনার পর তিনি বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত গ্রেপ্তার করা চার তরুণ হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাহাত মাহমুদ (২১), রাজশাহী কলেজের প্রাণীবিদ্যা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বোরহান কবীর ওরফে উৎস (২২), একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল-আমিন (২০) ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ভর্তি প্রার্থী আহসান হাবিব ওরফে রনি (২০)। আহসান ও বোরহান ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আহসানের বাড়ি পাবনার ফরিদপুরের জন্তীহার গ্রামে, রাহাতের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়, আল আমিনের বাড়ি রাজশাহীর পবায় আর বোরহানের বাড়ি লালপুরের নাটোরে। পিবিআই কর্মকর্তারা ১৮ অক্টোবর আহসান হাবিবকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন রাজশাহীর দুটি ছাত্রাবাস থেকে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সুমাইয়ার সঙ্গে রাহাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মিজানের সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন রাহাত। এরপরই পরিকল্পিতভাবে হোটেলে কক্ষে গিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়। সবশেষে পুরো ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিজানের লাশটি ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যেভাবে পরিচয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিজানুর রহমানের সঙ্গে আসামি আহসান হাবিবেরঃ- পরিচয় হয় ২০১৪ সালে। সে সময় তিনি উল্লাপাড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে একটি মেসে ওঠেন। তার পাশেই আরেকটি মেসে থেকে তখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করতেন মিজানুর। নিজের মেসের খাবার ভালো না হওয়ায় আহসান হাবিব তখন মিজানুরের মেসে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতেন। সে সূত্রেই তাদের পরিচয় হয়। উচ্চ মাধ্যমিক শেষে মিজানুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বরেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজশাহী যান আহসান হাবিবও। পূর্বপরিচিত মিজানুরের সঙ্গে সেখানে আবার তার যোগাযোগ হয়। রাজশাহীর রিলাক্স মেসে থাকতে গিয়ে আসামি রাহাতের সঙ্গে আহসানের পরিচয় হয়। আর নকশি ছাত্রাবাসের বাসিন্দা বোরহান কবীর ও আল-আমিন ছিলেন রাহাতের পূর্ব পরিচিত। প্রেমের সম্পর্ক ও ছেদঃ- জিজ্ঞাসাবাদে রাহাত জানিয়েছেন, সুমাইয়ার সঙ্গে আহসান হাবিবের পরিচয় ছিল। আহসানের কাছে থেকে মুঠোফোন নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তিনি। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। চার থেকে পাঁচ মাস দীর্ঘ ছিল সেই সম্পর্ক। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আহসান হাবিব বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের দুই থেকে তিন দিন আগে তিনি রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরের বায়তুল আমান ছাত্রাবাসে যান। রাহাত তখন ওখানে থাকত। সেখানে আসামি আল আমিন ও বোরহান কবীরও ছিলেন। চারজন মিলে তাস খেলেন। খেলার এক ফাঁকে রাহাত জানান, সুমাইয়া তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক ছাত্র মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রেম করে। আহসান তখন রাহাতকে জানান যে মিজান তার পূর্বপরিচিত। রাহাত তখন দুজনকে হাতেনাতে ধরার জন্য উপস্থিত বাকি তিনজনের সাহায্য চান। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন আহসানকে ফোন দেন মিজান। তার ভাই ও ভাবী রাজশাহী আসছেন এবং তাদের থাকার জন্য ভালো আবাসিক হোটেলের সন্ধান চান তিনি। কিন্তু আহসান জানতে পারেন ভাই-ভাবী নয়, সুমাইয়া রাজশাহী আসছেন। এরপর বিষয়টি তিনি রাহাতকে জানান। আহসান হাবিবের দেওয়া তথ্যের বরাতে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, ঘটনার দিন রাহাত তাঁকে ফোন করে বলেন তিনি মিজান ও সুমাইয়াকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দেখেছেন। রাহাত তাকে বিনোদপুর যেতে বলেন। সেখানে গেলে রাহাত, আল আমিন ও বোরহানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। রাহাত একটু দূরে সুমাইয়া ও মিজানকে দেখিয়ে তাদের অনুসরণ করতে বলেন। মিজান ও সুমাইয়া একটি অটোতে ওঠেন। আরেকটি অটোতে করে চারজন তাদের অনুসরণ করেন। সুমাইয়া ও মিজান নাইস হোটেলের সামনে থামেন। তাঁরাও সেখানে নামেন। পাশের বিল্ডিং থেকে হোটেলে ঢোকেন চারজনঃ- তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রাহাত ও আহসান মিলে হোটেলের এক বয়কে হাত করেন। এরপর তারা চারজন নাইস হোটেলের পাশের তিন তলা একটি মার্কেটের ছাদে ওঠেন। সেখান থেকে হোটেল বয়ের সাহায্যে জানালা দিয়ে ৩০৩ নম্বর কক্ষে ঢোকেন। কক্ষে তখন শুধু সুমাইয়া ছিলেন। সুমাইয়ার সঙ্গে রাহাত ও আহসানের বাগবিতণ্ডা হয়। মিজানকে ফোন করে ডেকে আনার জন্য সুমাইয়াকে বলেন। সুমাইয়ার ফোন পেয়েই মিজান কক্ষে আসেন। মিজানকে তাঁরা বেধড়ক পেটান। একপর্যায়ে কেউ একজন হোটেলের টি টেবিল ভেঙে তার পায়া দিয়ে মিজানের মাথায় আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। এরপর সুমাইয়ার একটি ওড়না দিয়ে তাঁর হাত বেঁধে ফেলা হয়। আরেকটি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তরুণদের তথ্যমতে, মিজানের লাশ কক্ষের মেঝেতে রেখেই সুমাইয়াকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তাঁরা। এরপর বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। দুজনকে হত্যার পর তাঁরা মিলিতভাবে মিজানের লাশ ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। এরপর তাঁরা আবার জানালা দিয়েই পাশের মার্কেটের ছাদ হয়ে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর কাউকে কিছু না বলতে রাহাত আহসানকে পাঁচ হাজার টাকা আর আল আমিনকে দশ হাজার টাকা দেন। যেভাবে উদ্ঘাটিত হয় ঘটনাটিঃ- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী পিবিআইর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ‘ক্লুলেস’ হত্যাকাণ্ড ছিল। থানা-পুলিশ তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছিল, সুমাইয়াকে মাথায় আঘাত করেছিলেন মিজান। এরপর বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। মিজানের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এটাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। আর সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আগে তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকি ডিএনএ টেস্টেও সুমাইয়ার শরীরে শুধুমাত্র মিজানের ডিএনএ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যাওয়া প্রথম পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিও একজন ছিলেন। ওই কক্ষে তিন ‘ব্র্যান্ডের’ সিগারেটের ফিল্টার পাওয়া যায়। তা ছাড়া ছেলেটার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো থাকলেও তার দুই হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। তার প্যান্টটি কোমর থেকে ভাঁজের মতো করে নিচে নামানো ছিল। দেখেই মনে হচ্ছিল কেউ একজন টান দিয়ে নামিয়েছে। তা ছাড়া মিজানের গলার দুই পাশে দাগ ছিল। আত্মহত্যা করলে সেই দাগ একদিকে হওয়ার কথা। মহিদুল বলেন, এসব চিহ্ন দেখে তখনই তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কক্ষে পাওয়া তিন ধরনের সিগারেটের ফিল্টার তাকে সবচেয়ে বেশি ভাবায়। একজন মানুষ একই সঙ্গে তিন ধরনের সিগারেট খেতে পারে না। পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার ভার পিবিআইকে দিলে তিনি তদন্ত করা শুরু করেন। তিনি বলেন, থানা-পুলিশ মামলাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলে তার মনে হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মিজানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা এবং ডিএনএ পরীক্ষায় শুধুমাত্র মিজানের ডিএনএ উপস্থিত থাকার বিষয়টি আসায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের যথেষ্ট আলামত থাকা সত্ত্বেও আর খতিয়ে দেখেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সদর দপ্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার আহসান হাবীব বলেন, তদন্ত শুরুর পর তারা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সুমাইয়া ও মিজানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথোপকথনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। সেখান থেকে তারা আহসানকে শনাক্ত করেন। তারপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের শনাক্ত করা হয়। তিনি বলেন, থানা-পুলিশ যদি আরও দায়িত্বশীল হতো তাহলে প্রথমেই এই মামলা শনাক্ত করা সম্ভব ছিল। এত দিন অপেক্ষা করতে হতো না। থানা-পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার এখন যা বলছেনঃ- নাইস হোটেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এক বছর তদন্ত শেষে এ বছরের মে মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম বাদশা। তদন্তে গাফিলতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে তিনি যখন তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাননি তখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, সিআইডির ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন এবং রাসায়নিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে ভুল ছিল কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুল ছিল না সঠিক ছিল সেই মন্তব্য তিনি করবেন না। তবে প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিবেদনের প্রভাব ছিল। মিজান ও সুমাইয়ার ময়নাতদন্ত করেছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এনামুল হক। তিনি বলেন, পুলিশ তাকে বলেছিল হোটেলের দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল এবং তার লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে তিনিও দেখেছেন তার গলায় যে দাগ আছে সেটা আত্মহত্যারই। তিনি পরীক্ষা করে যা পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানান। পরিবারের বক্তব্যঃ- সুমাইয়ার বাবা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল করিম এখন গাইবান্ধা বি সার্কেলে কর্মরত রয়েছেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, মেয়ে মারা যাওয়ার পর পর তিনি শারীরিক এ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেই অবস্থায় তিনি মামলার যে এজাহার লিখেছিলেন সেখানেই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলেন। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের। তদন্ত করে তারা যা পেয়েছে তাই বলেছে। মিজানের বাবা উমেদ আলী বলেন, মিজান আত্মহত্যা করতে পারেন না এটা তার বিশ্বাস ছিল। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি এখন ন্যায়বিচার অপেক্ষায় আছেন। সূত্র: প্রথম আলো আর/১০:১৪/২৭ অক্টোবর ### আওয়ামীলীগের ১৫১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ টি আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি চূড়ান্ত সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগ। সরকারি-বেসরকারি একাধিক জরিপের মাধ্যমে নামগুলো বাছাই করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ১৫১ প্রার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চূড়ান্ত তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের অনেককেই ইতিমধ্যেই আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড থেকে মনোনয়নের বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ টি জাতীয় সংসদীয় আসন রয়েছে। আসনগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ সরাইল ও আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ কসবা ও আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ বাঞ্ছারামপুর। এসব আসনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয়নগর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি জননেতা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ কসবা ও আখাউড়া আসনে বাংলাদেশ সংবিধান প্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও দেশ বরেণ্য আইনজীবী প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়ার) এর সুযোগ্য সন্তান বর্তমান সাংসদ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের বর্তমান সাংসদ সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয়নগর আসনের সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল কলেজসহ সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করেছেন। যার ফলে এ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে তার বিকল্প নেই। কারন মোকতাদির চৌধুরী এ আসনে এমপি হওয়ার পর চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুতা ও মাদকসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড নির্মূলে অনেকাংশেই সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সকল সংঘঠনকে সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ কসবা ও আখাউড়া আসনে দেশ বরেণ্য আইনজীবী অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনিসুল হক এমপি হওয়ার তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিগত আমলে সকল সংসদ সদস্যদের তুলনায় উন্নয়ন কার্যক্রমে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছেন। সাধারন জনগনের জন্য যার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন সার্বক্ষণিক খোলা রাখেন এবং জনগনের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। আনিসুল হক সাংসদ ও আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন। সকল বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে তিনি সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর আসনে এ বি তাজুল ইসলাম তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনগনের আস্থা বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁর উন্নয়নমুখী দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে এশিয়ার দীর্ঘতম ওয়াই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে তিনটি উপজেলার সাথে বাঞ্ছারামপুরের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য এ বিষয়ে বলেন, গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই একাধিকবার প্রার্থী জরিপের কথা জানিয়েছেন। ২০০ আসনে প্রার্থী জরিপ চূড়ান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গত বৈঠকের আগের বৈঠকে জানিয়েছিলেন সভাপতি নিজেই। এখন ওই ২০০ আসনের মধ্য থেকে ১৫১ জনের মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু আসনে প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ১৬০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করব। দুই ধাপে এটি হবে। প্রথম ধাপে ১০০, পরের ধাপে ৬০ প্রার্থী। এর পর যেসব দলের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী জোট রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি আসনগুলোয় প্রার্থী ঠিক করা হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থীদের অনেককেই চুপচাপ জানানো হচ্ছে, এলাকায় গিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তথ্য সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়। ### ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয় উদ্বোধন সময়নিউজবিডি ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অায়োজনে গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় টিএ রোডস্থ মান্নান ম্যানশনে (৪র্থ তলা) সংগঠনের জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ অাহমাদ। সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা অাবুল কালাম অাজাদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ওবাইদুল হকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কুরঅান শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল করীম বেলালী, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস অাল্লামা নোমান অাল-হাবিবী, বামুক-এর জেলা ছদর অালহাজ্ব সৈয়দ অানোয়ার অাহমদ, অাইএবি’র জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা অাব্দুল মালেক ফয়েজী, ইসলামী শ্রমিক অান্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ শাহ অালম, ইসলামী যুব অান্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতি অাশরাফুল ইসলাম বিলাল, ইশা ছাত্র অান্দোলনের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল, অান্দোলনের সদর উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর অালম সরকার ও পৌর সভাপতি অালহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। ###
ede411e6-fadd-43ba-8b14-6ce2eaf825bf
সরাইল প্রতিনিধি, সময়নিউজবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সাবেক প্রেমিকাকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাংচুর করা হয় দুইটি দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২১ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বিকেল বাজারের এলাকায়। জানা যায় , সরাইল উপজেলার মুগলটুলা এলাকার সাদেক মিয়ার মেয়ে মাসুমা (২৫) এর সাথে হাবলিপাড়ার হুমায়ূন মিয়ার ছেলে আরমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সোমবার সকালে মাসুমা তার দুই বান্ধবীকে নিয়ে বিকাল বাজারের হাজী মার্কেটে আসে বাজার করতে। এসময় আরমান মাসুমাকে দেখে কাছে এসে তার দেওয়া মোবাইল ফোন ও টাকা ফেরত চায়। এতে মাসুমা ক্ষিপ্ত হয়ে আরমানের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। পরে খারাপ ব্যবহারের কারণে আরমান মাসুমাকে ৩/৪টি থাপ্পড় মারে। এদিকে প্রেমিকা মাসুমাকে থাপ্পর মারার ঘটনাটি দেখতে পেয়ে হাজী মার্কেটের দোকানদার তপু মাসুমার পক্ষে প্রতিবাদ করেন। তপু প্রতিবাদ করায় আরমান তার সহপাঠিদের নিয়ে তপুকে মারধর করে তপুর দোকান ভাংচুর করে চলে যায়। পুনরায় রাত ১০টার দিকে আরমান দলবল নিয়ে হাজী মার্কেটে হামলা করলে দোকানদারদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় ২টি কাপড়ের দোকান। এতে আহত হয় ওই মার্কেটের বখতিয়ার ও সবুজ নামের দুই ব্যবসায়ী। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ এসে ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে সরাইল থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। মাদক দমন অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট মাদক দমন অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাগুলো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এতে হতাহতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। “কেন এই উপায়েই মাদক সন্ত্রাস দমন করতে হচ্ছে, অন্য কোনো উপায় কি নেই?” প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে নিজের উদ্বেগের কথা জানান সুলতানা কামাল। মাদক দমনে অভিযান চালাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় গত দুই দিনে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই এদের মৃত্যু ঘটে। তবে নিহতদের কয়েকজনের পরিবারের দাবি, ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় তাদের স্বজনদের। সুলতানা কামাল বলেন, “আমরা তো একটা যুদ্ধের মধ্যে নেই। আমরা তো একটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে বাস করছি। সেই জায়গায় এরকমভাবে দিনে ৫/৬ জন করে যদি বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়, সেখানে উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা।” আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “এই জন্যই এ সমস্ত ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আমাদেরকে অবহিত করতে হবে। প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। “আসলেই এখানে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে কি না? কিংবা অন্য কোনোভাবে বন্দুকের অপব্যবহার হচ্ছে কি না? সেটাও আমাদের জানা দরকার। কারণ এই অস্ত্রটা আমরাই তুলে দিয়েছি তাদের হাতে।” অপরাধী যেই হোক না কেন, তার আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকারের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্রের কতগুলো নিয়ম-নীতি রয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের বিচার হতে হবে। এর মাধ্যমে কেউ দোষী প্রমাণিত হয় সেই জন্য যে শাস্তি প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সমালোচনা করলেও মাদকের মতো একটা ‘বিষাক্ত ব্যাপার’ দমনে কঠোর আইন করে তা প্রয়োগের আহ্বান জানান সুলতানা কামাল। “আমরাও চাই কঠোর আইন হোক, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা যে, আমাদের সংবিধান বলে তো একটা কথা আছে।” জাতিসংঘের ইউপিআরের আওতায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ বিষয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিএসএ, এনএনএমসি, এএলআরডি ও কাপেং ফাউন্ডেশন। সুলতানা কামাল সিএনএ’র চেয়ারপার্সন। অনুষ্ঠানে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, “পত্রিকা খুলতেই দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন বন্দুকযুদ্ধে মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হচ্ছে যে, মাদকের বিরুদ্ধে একটা অভিযান চলছে। এই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে আমাদের কারোই দ্বিমত নেই। কিন্তু যে পদ্ধতিতে কাজটি হচ্ছে সেটি সঠিক হচ্ছে কি না, ভেবে দেখা দরকার। “কারণ যে অপরাধী হোক, মাদক ব্যবসায়ী হোক বা মাদক চোরাচালানি হোক অথবা মাদকের সঙ্গে অন্য কোনোভাবে সম্পৃক্ত হোক, সকলেরই মৌলিক অধিকারগুলো আমাদের সংবিধানে আছে। সংবিধানের সেই পন্থা অনুসরণ না করে এটা করার ফলে সুদূরপ্রসারী যে ফলাফল হবে, সেটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য সুষ্ঠু ফল আনবে না।” অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিএসএর সদস্য আকলিমা ফেরদৌস। এতে কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, এনএনসির কো-অর্ডিনেটর মুজাহিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন। তথ্য সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে জেলায় জেলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই; র্যাব ও পুলিশ এসব ঘটনাকে বর্ণনা করে আসছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকালে মধ্যে সাত জেলায় নয়জন সেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এসব অভিযানে বিভিন্ন পরিমাণে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের কথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের দাবি নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, ঝিনাইদহ ও নরসিংদীতে র্যাবের গুলিতে চারজন এবং চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আর যশোরে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বলেছে, মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় আইনশঙ্খলা বাহিনী যে বিবরণ দেয়, তা মোটামুটি একই রকম। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। দেশ থেকে মাদক নির্মূলের প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেন, জঙ্গি দমনের মত মাদক ব্যবসায়ী দমনে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই দায়িত্ব মূলত দেওয়া হয়েছে র্যাবকে। গত ১৪ মে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর তারা মাঠে নেমেছেন। মাদকের বিরদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। র্যাবের সংবাদ সম্মেলনের আগে ৩০ এপ্রিল কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মাদকের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও গোয়েন্দা পুলিশ, রেল পুলিশ, থানা পুলিশ এবং বিজিবিকেও মাদকবিরোধী অভিযানে দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাদক চক্রের সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এ ধরনের ঘটনায় ছয় জেলায় ছয়জন নিহত হন, যাদের চারজনই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। রোববার রাতে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- যশোর যশোরের দুই জায়গা থেকে গুলিবিদ্ধ তিনটি লাশ উদ্ধারের খবর জানিয়ে পুলিশ বলেছে, মাদক চোরাকারবারিদের ‘নিজেদের মধ্যে’ গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলছেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরতলীর শেখহাটি ও খোলাডাঙ্গায় গোলাগুলির এসব ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, দুই দল মাদক কারবারির মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে শেখহাটি ও খোলাডাঙ্গায় পুলিশ পাঠানো হয়। এর মধ্যে শেখহাটির নওয়াব আলীর খেঁজুর বাগান এলাকায় দুটি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ আর ৪০০ ইয়াবা পাওয়া যায়। আর খোলাডাঙ্গায় মাঠের মধ্যে থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং ১০০ ইয়াবা পাওয়া যায়। দুই জায়গায় দুটি পিস্তল ও গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি বলেন, “ঘটনাস্থলে ইয়াবা পড়ে থাকায় আমরা ধারণা করছি, নিহতরাও মাদকের কারবারে যুক্ত ছিল।” যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা বলেন, ভোর ৪টা ৫মিনিটের দিকে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক তরুণ কুমার গুলিবিদ্ধ একজন ও যশোর উপশহর ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহিম দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মাথায় গুলি লাগায় তিনজনেরই অবস্থা ছিল ‘বিভৎস’। এর মধ্যে শেখহাটির নওয়াব আলীর খেঁজুর বাগান এলাকায় নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের একজন হলেন শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম। তার ছেলে রিপন হোসেন মর্গে গিয়ে বাবার লাশ শনাক্ত করেন। আর শার্শা উপজেলার মহিশাকুড়া গ্রামের হারান মোল্লার ছেলে মুন্না হোসেনের লাশ শনাক্ত করেন বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন। টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন, যার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে থানায়। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘাটাইল থানার দেউলাবাড়ি এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন ইটভাটার পাশে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক আব্দুল আহাদের ভাষ্য। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের মাদকের চালান’ আসার খবরে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। “তখন মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে, আত্মরক্ষার জন্য র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০-১৫ মিনিট গোলাগুলির পর প্রতিপক্ষ পিছু হটলে র্যাব সদস্যরা গিয়ে দেখেন একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।” তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা। র্যাব-১২ এর সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার রবিউল ইসলাম জানান, নিহত আবুল কালাম আজাদ খান (৪২) ঘাটাইল থানার পূর্ব পাকুটিয়ার আ. রহমান খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৫০০ ইয়াবা এবং মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে র্যাব। রাজশাহী রাজশাহীতে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত লিয়াকত আলী মণ্ডলের বাড়ি পুঠিয়া থানার নামাজগ্রাম এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ‘চিহ্নিত মাদক কারবারি’ এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে সাতটি মামলা রয়েছে বলে র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলামের ভাষ্য। তিনি বলছেন, রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় মাদক চোরা কারবারিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। “র্যাবের একটি টহল দল ওই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করে। তখন র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় লিয়াকত মোটরসাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়; অন্যরা পালিয়ে যায়।” পরে গুলিবিদ্ধ লিয়াকতকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মেজর আশরাফুল। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ৮২৩টি ইয়াবা, দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বলে জানান তিনি। ঝিনাইদহ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর এলাকার র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। নিহত সবদুল ইসলাম মণ্ডল (৪৫) নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। রোববার রাত দেড়টার দিকে ওই গ্রামের তেমাথায় র্যাবের চেকপোস্টে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোর্শেদের ভাষ্য। তিনি বলেন, মাদকের চালান যাওয়ার খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল রাতে তেমাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল। রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সবদুল মণ্ডল ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে করে সেখানে গেলে র্যাব সদস্যরা তাদের থামার ইংগিত দেয়। “কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা না থেমে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও তখন পাল্টা গুলি চালায়। কয়েক মিনিট গোলাগুলির পর মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে সবদুলকে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।” কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মোর্শেদ। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৫০ ইয়াবা এবং একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযানে তিন র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের কালীগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাদক মামলার এক আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। রোববার রাত ৩টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ওই ঘটনা ঘটে বলে জীবনননগর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান। তিনি বলেন, নিহত জোনাব আলী উথলী গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের একাধিক মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে ওই গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। “পুলিশ জীবননগর সন্ন্যাসীতলায় পৌঁছালে জনাব আলী পুলিশের দিকে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী জনাব আলী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।” ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, তিনটি হাসুয়া এবং এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। নিহত জনাব আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নরসিংদী নরসিংদীর ঘোড়াশালে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে পুলিশ। পলাশ থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, নিহত ইমান আলী (৩০) ওই এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি। দুই বছর আগে দ্বীন ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবককে হত্যা মামলারও প্রধান আসামি সে। এই পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে ঘোড়াশাল সেতু টোলপ্লাজার পাশে খালিশারটেক এলাকায় র্যাব-১১ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদকসম্রাট ঈমান আলী গুলিবিদ্ধ হয়।” পরে সকালে ঈমানকে পলাশ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানান ওসি। র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভোরে তারা ইমান আলীর টানঘোড়াশালের বাড়িতে তল্লাশি চালান। সেখানে তাকে না পেয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগরে র্যাব-১১ কার্যালয়ের দিকে রওনা হন তারা। “পথে দুই সহযোগীসহ ইমান আলীকে একটি মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়। র্যাবের গাড়ি দেখে তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায় এবং মাদক সম্রাট ইমান আলী র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে সে নিহত হয়।” র্যাব কর্মকর্তা জসিম বলেন, এ অভিযানে র্যাবের ডিএডি আবুল বাশার ও এসআই নির্মল চন্দ্র দে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পলাশ থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেছে র্যাব। নিহত ইমান আলীর মামা ইসমাইল মিয়া জানান, এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ইমান নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকায় বসবাস করতেন। তার মা তাজমহল এবং ভাই বাদশা থাকেন পলাশ উপজেলার টানঘোড়াশালের বাড়িতে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তিন বছর আগে ইমানের বাবা মিলন মিয়াকে ঘোড়াশালে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। গাজীপুর গাজীপুরের টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন, যার বিরুদ্ধে থানায় মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। নিহত রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেস্তি রনি (২৭) টঙ্গীর এরশাদ নগরের ৩ নম্বর ব্লকের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে টঙ্গীর নিমতলী মাঠ এলাকায় গোলাগুলিতে রনি নিহত হন বলে টঙ্গী থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের ভাষ্য। তিনি বলেন, মাদক কেনা-বেচার খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ওই এলাকায় অভিযানে যায়। “পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে রনি গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।” ঘটনাস্থল থেকে রনিকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, রনির বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মাদকের চোরা কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। অভিযানে আহত টঙ্গী থানার এএসআই মো. ওমর ফারুক ও এএসআই মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। তথ্য সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। এ ব্যাপারে রাসেলের মামা খবির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাসেলকে ডেকে থানায় নিয়ে গিয়ে থানা ভবনের ছাদে নিয়ে গিয়ে বেধরক পেটানো হয়। মারধর থেকে বাঁচতে রাসেল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, চুরির ঘটনার পর জিজ্ঞাসবাদের জন্য মার্কেটের প্রহরী ও রাসেলসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। ইফতারের সময় থানা ভবনের দুতলায় অবস্থানরত রাসেলের কনস্টেবলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে ওঠে পড়ে। এরপর সে তিন তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড প্রাপ্তি ও দলের নেতৃত্ব হস্তান্তর ও প্রত্যাশার প্রশ্নে শুরু হওয়া অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রেক্ষিতে কয়েকভাগে বিভক্ত হয়েছে বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় সময় যতো গড়িয়েছে বিএনপির গ্রুপিং ততই ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, নেতৃত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের জেরে বিএনপির অবস্থা এতই নাজুক যে, যেকোন সময় তা একেবারে ভেঙে পড়তে পারে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর মধ্যকার শুরু হওয়া গ্রুপিং এখন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। চলতি বছরের শুরু দিকে বিএনপিতে বিভক্তি গুঞ্জনের প্রথম পর্যায়ে বেগম জিয়ার অবর্তমানে দলের নেতৃত্ব কে দেবে তা নিয়ে সংশয়ের মুখে দলের ঐক্য কিছুটা চিড় ধরতে শুরু করে। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের পর তার পুত্র তারেক রহমানের দায়িত্ব প্রাপ্তি ও তার সহযোগী হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বদলে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে প্রথমে দুইভাগে বিভক্ত হয় বিএনপি। নীরব দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ফখরুল ও রিজভীপন্থীরা। এমনকি সেসময় তারেক রহমান ও রিজভীর নেতৃত্ব মানতে দলের পক্ষ থেকে অস্বীকৃতিও জানায় অনেক নেতা। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়েও আইজীবীদের সঙ্গে তারেক রহমানের বাক-বিতণ্ডামূলক ফোনালাপের পর ফখরুল-রিজভীর দ্বন্দ্ব আইনজীবীদেরও স্পর্শ করে। সর্বশেষ দলীয় আইনজীবীদের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ দিয়ে তারেক রহমান দলীয় আইনজীবীদের একহাত দেখিয়েছেন বলেও আলোচনা উঠে। বিএনপির একাধিক সূত্রের মারফত জানা গেছে, বেগম জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিএনপিতে তৈরি হয়েছিলো তা ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যেখান থেকে ফিরে আসার কোনো পথ আর খোলা নেই। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, দ্বন্দ্ব ও অনৈক্য দলকে শেষ করে দিতে পারে। এর সত্যতা হারে হারে টের পাচ্ছি। কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলতে পারছি না। ফখরুল ভাই ও রিজভী ভাইয়ের মধ্যে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব এখন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন পর্যন্ত গাড়িয়েছে। একদিকে, গয়েশ্বর চন্দ্র ও মির্জা আব্বাস ভাইয়ের সঙ্গে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন প্রশ্নে তারা ভিন্নমত পোষণ করতে শুরু করেছেন। এভাবে দলীয় অনৈক্য, সমন্বয়হীনতা ও ক্ষমতার লোভ নেতাদের যেদিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তা থেকে ফিরে আসার আর কোনো পথ নেই বলেই মনে করছেন তিনি। তথ্য সূত্রঃ বাংলানিউজপোস্ট ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট মাদকের বিরুদ্ধে গত ৪ মে থেকে সারাদেশে র্যাবের বিশেষ অভিযান চলছে জানিয়ে গত ১৪ মে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে মাদক বিরোধী এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, ‘কারো কাছে মাদক থাকলে র্যাব ক্যাম্পের পাশে ফেলে যান। অন্যথায় মাদক প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থায় যত প্রক্রিয়া আছে তার সব ব্যবহার করা হবে।’ র্যাব প্রধানের এই কঠোর হুশিয়ারিকে উপেক্ষা করে যারা দেদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল এবং র্যাবের সাথে সরাসরি বিবাদে জড়িয়ে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থানে গেলে চলতি সপ্তাহে বরিশাল, ফেনী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, যশোর ও টাঙ্গাইলে ছয়জন মাদক ব্যবসায়ী ও কালোবাজারি র্যাবের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসা এবং পাচারের সাথে জড়িত এবং চিহ্নিত অপরাধী। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া এই অভিযানে সারাদেশে ১ হাজার ৪১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং ৩৮১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু মাদকের করাল গ্রাসে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত যুব সমাজকে রক্ষার জন্য পরিচালিত মাদক বিরোধী এই অভিযানকে যখন সারা দেশব্যাপী সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ সাধুবাদ জানাতে শুরু করে। ঠিক সেই মূহুর্তে বিএনপির পক্ষ হতে এই অভিযানকেও রাজনৈতিক রঙ মাখিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। দেশব্যাপী ধৃত ও নিহত মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে অতি সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কথিত বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। তারা সাধারণ মানুষকে পিপড়ার মতো গুলি করে মারছে। ” মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে রিজভীর এই বক্তব্যে সাধারণ মানুষ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে। অনেকেই বলছেন রিজভী সাহেবরা সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজতে গিয়েই নিজেদের দলকে প্রায় দেউলিয়া করে ফেলেছেন। নিজেদের অপরাধী কর্মীদের পক্ষ নিতে নিতে শেষ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষেও সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানালেন? চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলা বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলের শোভা পায়?” অনেকেই বলছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে সারাদেশ মাদকে ছেয়ে গিয়েছিল এবং সেসময় বিএনপির অনেক নেতা কর্মীরাই ইয়াবাসহ নানান রকম মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে মরণ নেশা ইয়াবার প্রচলন শুরু হয়েছিল মূলত ঐ সময়। কথিত আছে যে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন এর পৃষ্ঠপোষকতায়ই প্রথম বড় পরিসরে দেশে ইয়াবার ব্যবসা শুরু হয়েছিল। সূত্রমতে, বিএনপি শাসনামলে যারা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিল তারাই এখনো অনেক এলাকায় মাদক ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজত্ব করে যাচ্ছেন। অনেকে বলে থাকেন সারা দেশে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীই এখন রাজনীতির চাইতে এসব অবৈধ ব্যবসার দিকে নজর বেশী। তাই আন্দোলনের সময় তাদের রাজপথে পাওয়া যায় না। উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা উচ্চারণ করে বলেন,মাদক এর পক্ষে যারা কাজ করবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। এই জাতিও তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবে না। তাই এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদানের পর থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় ১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী তথ্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে এ গতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ জনসাধারণ কর্তৃক প্রশংসিত এই অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপি মূলত নিজেদের রাজনৈতিক আদর্শকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলেই মনে করছেন সুশীল সমাজ। তথ্য সূত্রঃ বাংলানিউজপোস্ট ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট দুর্নীতি, সহিংসতা, নাশকতা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত বিএনপি। এতিমখানার টাকা চুরির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে খোদ দলটির সভানেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একাধিক মামলায় সাজা নিয়ে বিদেশে পলাতক। লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা। মামলার জট থেকে বিএনপিকে বাঁচাতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কোনো বিকল্প নেই। অথচ দলের এই ক্রান্তিলগ্নে আইনজীবীরা শুরু করেছেন নতুন নতুন খেলা। ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মীর নাসির, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মামলা পরিচালনা নিয়ে শুরু করেছেন গড়িমসি। ভুলপথে মামলা পরিচালনা, দলকে বিভ্রান্ত করার মতো কাজ করে বার বার খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে মিস গাইড করছেন তারা। দলাদলি, পদের পেছনে ছুটাছুটি, অর্থের লোভে অন্ধ হয়ে এক সময়ের প্রিয় নেত্রীর মুক্তির আইনী প্রক্রিয়ায় তারা ব্যর্থ। দলের চেয়ে, নেত্রীর চেয়ে অর্থ-সম্পদ এবং পদের মর্যাদা আইনজীবীদের কাছে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নেতৃত্বহীন বিএনপির অবস্থা অনেকটা মাঝিবিহীন নৌকার মতো। রাজনৈতিক কূল-কিনারা পাচ্ছে না বিএনপি। এর মধ্যে আবার সিনিয়র আইনজীবীদের কোন্দল আর ভুলে বিএনপি মৃতপ্রায়। যেন ভুলের সাগরে বিএনপি আরো তলিয়ে দিচ্ছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা পুরোটাই পথভ্রষ্ট। তাদের ভুলে বিএনপি নেত্রী আজ কারাবরণ করছেন। আইনজীবীরা হবেন একটি রাজনৈতিক দলের কাণ্ডারীর মতন। অথচ বিএনপির আইনজীবীরা সমিতির নির্বাচন, পদ পাওয়ার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে ব্যস্ত। বিএনপির ব্যর্থতার জন্য তাদের আইনজীবীরাও কম অংশে দায়ী নন। আমার ধারণা তাদের কর্মহীনতা ও কুপরামর্শে বিএনপির আজ মরণদশা। দলে নেই শৃঙ্খলা, নেই কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি। নেতারা সব পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। বেশিরভাগ নেতারা সরকারের সাথে সমঝোতা করে সেফজোনে অবস্থান নিয়েছেন। নেতারা ব্যস্ত আখের গোছাতে। সুতরাং তাদের এই সব মূর্খতা ও দালালীর জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খোদ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে। বিএনপিপন্থী এক সিনিয়র আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের সংকটময় অবস্থায় আইনজীবীরা বার বার ব্যর্থতা ও অপরিপক্কতার পরিচয় দিচ্ছেন। নেত্রীর কারাবরণ, তার মুক্তির বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো বিকার নেই। সিনিয়র আইনজীবী নেতারা নেগোসিয়েশন করে অর্থ উপার্জন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলের সংকটকে আরো তরান্বিত করেছেন দলীয় আইনজীবীরা। আইনী লড়াইয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কারণে বিএনপির মতো দলের আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হচ্ছে। সিনিয়র আইনজীবীদের মন্দ বুদ্ধির জন্য দল আজ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। দলের উচিত এই সব দুমুখো সাপদের বহিষ্কার করা। এরা দালাল। নিজ স্বার্থে দলকে বিক্রি করে দেয় এরা। এরা সুযোগ সন্ধানী। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তথ্য সূত্রঃ বাংলানিউজপোস্ট ডটকম।
18273c42-664a-4ecf-971b-a51fa254027b
সময়নিউজবিডি রিপোর্ট রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাহিনী সেনাবাহিনী ও পুলিশ এবং সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সর্বোচ্চ পদে থাকা তিনজনের বাড়িই চাঁদপুর। ১৮ মে বাংলাদেশ সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে। আগামী ২৫ জুন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) সাবেক এই মহাপরিচালক। জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে সেনাপ্রধান হতে যাচ্ছেন তিনি। আজিজ আহমেদ ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরে। ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব নেন আজিজ। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিজিবির ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ৩৩তম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। আজিজ আহমেদ অষ্টম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি পাবর্ত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদফতরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদফতরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন স্কুল অব আর্টিলারি এবং স্কুল অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আজিজ আহমেদ মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তার বাবা ওয়াদুদ আহমেদ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী চাঁদপুর সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের ২৯তম মহাপরিদর্শক হিসেবে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে ষষ্ঠ বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়ে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগ দেন জাবেদ। চাঁদপুরের বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ কল্যাণ বিষয়ে স্মাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। বিশাল কর্মজীবনে নানা ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবনের ওপর লেখা গ্রন্থ ‘কারাগারের রোজনামচা’র বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ ভূমিকা রাখেন। জঙ্গিবাদ দমনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাবেদ পাটোয়ারী ২০১০ ও ২০১১ সালে দুবার বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পুলিশ পদক, বাংলাদেশ পুলিশ মেডেলে (বিপিএম) ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি দুবার ‘আইজিপি’স এক্সাপ্লেরি গুড সার্ভিস’ ব্যাজ লাভ করেন। সন্ত্রাসবাদের ওপর তার পিএইচডি ডিগ্রি আছে। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ১৯৪০ সালের ৮ মার্চ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ছিলেন স্কুল শিক্ষক। চাঁদপুরে জন্ম হলেও ইকবাল মাহমুদের স্কুল জীবন শুরু হয় সাতক্ষীরার আশাশুনিতে। ১৯৭২ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৭৪ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার নিউজ সাউথ ওয়ালেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। ইকবাল মাহমুদ বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তথ্য সূত্রঃ প্রিয়. কম। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬তম সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ। ১৮ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সেনা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার সেনাজীবন সফল। সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় এবার তিনি সেনাবাহিনীর যাবতীয় উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখবেন। সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ একজন দক্ষ ও কর্মকৌশলী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় তিনি তার বিভিন্ন সফলতা অর্জনে প্রশংসিত হয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ সকল গুণ ও দক্ষতার নিরিখে উত্তীর্ণ একজন চৌকষ সামরিক অফিসার। তার সময়ে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সীমান্ত ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিজিবির মহাপরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি হন। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অষ্টম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তার বেসিক কোর্সের অফিসারগণের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে মেধাবী ও পরিশ্রমী। ফলে সামরিক জীবনের শুরুতেই তিনি তার বেসিক কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সারির একজন অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া বেসিক কোর্সে ভালো ফলাফল অর্জনের কারণে তাকে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সার্জেন্সি অপারেশনে নিয়োজিত আর্টিলারি ব্রিগেডের জিএসও-৩ (অপারেশন) দায়িত্বে নিয়োগ প্রদান করা হয়। শুধুমাত্র বেসিক কোর্সেই নয়, পরবর্তীতে তার কর্তৃক সম্পন্ন করা সকল কোর্সেই তিনি উচ্চমানের ফলাফল অর্জন করেন। এই কোর্স সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্কুল অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এস এম আই) তে অনুষ্ঠিত বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্স এবং মিলিটারি সাইন্স কোর্স। বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্সে এবং মিলিটারি সাইন্স কোর্সে তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ ১৯৮৯-১৯৯০ সালে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল, হালিশহর, চট্টগ্রাম হতে অফিসার্স গানারী স্টাফ কোর্স করার পর তাকে ১৯৯২-১৯৯৩ সালে ভারতের স্কুল অফ আর্টিলারি, দেওলালীতে প্রেরণ করা হয় ‘লং গানারী স্টাফ কোর্স (ফিল্ড)’ করার জন্যে। উক্ত কোর্সে তিনি অসাধারণ ফলাফল অর্জন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল করেন। অতঃপর তিনি মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ থেকে ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে সাফল্যের সঙ্গে আর্মি ষ্টাফ কোর্স-১৯ সম্পন্ন করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদফতরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদফতরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। একটি আর্টিলারি ইউনিট, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন, বিজিবির একটি সেক্টর, স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশন দক্ষতার সঙ্গে কমান্ড করেন তিনি। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে ইরাক-কুয়েত এ সামরিক পর্যবেক্ষক এবং ২০০৫-২০০৬ সালে সুদানে জাতিসংঘ মিশনে ফোর্স কমান্ডার এর সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে এবং স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সতে (এসএমআই) প্রশিক্ষক হিসেবে স্বগৌরবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট খুলনার মতো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। নেতাকর্মীরা বলছেন, গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান হাতিয়ার জনসমর্থন ও দলীয় ঐক্য। কেননা, গাজীপুর সিটিতে বিগত সময়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে কিছু মতানৈক্য পরিলক্ষিত হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় তারা এখন ব্যাপক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, গাজীপুর আওয়ামী লীগ বরাবরই ঐক্যবদ্ধ ছিলো। তবে ঐক্যে কিছু অসামঞ্জস্য থাকলেও নির্বাচনকে ঘিরে তা আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার আগে ও পরে আমাদের কাছে এটিই স্পষ্ট হয়েছে যে, গাজীপুরে আমাদের জয় নিশ্চিত। জাহাঙ্গীর আলম ভাইয়ের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছি। এদিকে, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। পরে তারেক রহমান টাকার বিনিময়ে বিএনপি সমর্থিত মেয়র থাকা সত্ত্বেও নতুন মুখ দেয়। আর সেই রেশ ধরে বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই বিভক্তি চরমে রূপ নিয়েছে। বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে দলের নেতা ও বর্তমান মেয়র আব্দুল মান্নান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়র নির্বাচনে গাজীপুর আওয়ামী লীগের অবস্থা এমনিতেই পাকাপোক্ত। এরমধ্যে গাজীপুর বিএনপিতে বর্তমান মেয়র এবং মনোনীত মেয়র প্রার্থীর দ্বন্দ্ব যেভাবে নেতাকর্মীদের বিভক্ত করছে তাতে তারা একদিকে যেমন জনসমর্থন হারাবে অন্যদিকে দলের ভেতরে বড় রকমের খাদ তৈরি করবে, যাতে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়বে। এমন অবস্থায় নির্বাচনে জয় অসম্ভব বলেই প্রতিয়মান হয়। প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা ১৮ জুন থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ জুন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ঢাকার মহাখালীতে গাড়িচাপায় এক চালকের প্রাণহানির জন্য নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে দায়ী করেছেন দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী। সাংসদদের বাসভবন ন্যাম ফ্ল্যাটের একজন নৈশপ্রহরীর কথায়ও মঙ্গলবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় শাবাবকে দোষারোপ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাবাবের পরিবার বলছে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়িটি তাদের। কিন্তু ঘটনার সময় শাবাব গাড়ি ‘চালাচ্ছিলেন না’। আর পুলিশ বলছে, ওই সময় শাবাব গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। গাড়িটি উদ্ধারের পর পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহাখালীতে বিমানবন্দর সড়কে একটি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে সেলিম ব্যাপারী (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। তিনি তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন। তাকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি নোয়াখালী সদরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শিউলীর। এই সাংসদপত্নী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। রাতে ওই ঘটনার পর শাবাবের গাড়ি অনুসরণ করে ন্যাম ভবনে গিয়ে দুর্ঘটনায় এই এমপিপুত্রের ‘সম্পৃক্ততার কথা’ জানতে পারেন বলে দাবি করেছেন একজন। এ বিষয়ে রাতেই কাফরুল থানায় গিয়ে সাংসদপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।শামীম আশরাফি নামের ধানমণ্ডি এলাকার এই ব্যবসায়ী রাতের ঘটনা বর্ণনা করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা দুইজন একটা খয়েরি রঙের টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়িতে ছিলেন। রাত ১০টার পরে বনানী পার হয়ে ধানমণ্ডি যাওয়ার পথে একটা সাদা অডি গাড়িকে একটা মটরসাইকেলকে অনুসরণ করতে দেখে কৌতূহলবশত তারাও তাদের পিছু নেন। “এক পর্যায়ে গাড়িটি ন্যাম ভবনে ঢুকে পড়ে। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলটি ঢুকে পড়ে। পরে আমরাও ঢুকে পড়ি। ন্যাম ভবনে প্রবেশ করার আগে গার্ডকে জিজ্ঞাসা করতেই সে জানায়, ওই গাড়িতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিমের ছেলে শাবাব চৌধুরী আছেন। তার পরনে হালকা এক রঙের শার্ট ও একটি প্যান্ট ছিল। “গাড়ির কাছে গিয়ে দেখি শাবাব চৌধুরী মটরসাইকেলের আরোহীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারতে চাইছেন। আমি এগিয়ে গিয়ে ওকে মারছেন কেন প্রশ্ন করে নিজের পরিচয় দেই। শাবাব চৌধুরী মোটরসাইকেল আরোহীর ফোন কেড়ে নিয়ে ফোনের দাম দিতে চাইছেন কেন জানতে চাই। “তখন শাবাব খুব স্বাভাবিক ও ভাবলেশহীনভাবে এগিয়ে এসে বলেন, একটা বাসের সাথে গাড়ির ধাক্কা লেগেছে। পরে মটরসাইকেল আরোহী বলেন, আপনার গাড়ির চাপায় একজন মারা গিয়েছে। তার ভিডিও ফুটেজও আমার কাছে রয়েছে। এরপর ওই যুবক শাবাবকে বলেন, তোমার ভুল হয়েছে। যিনি মারা গিয়েছেন তার পরিবারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও। তাদের ক্ষতিপূরণ দাও। “কিন্তু শাবাব তাকে বলেন, আমরা সোসাইটির কোন লেভেল মেইনটেইন করি তা তো জানো। তোমরা চলে যাও। এমনটা হতেই পারে। এরপর মটরসাইকেলআরোহীকে উদ্দেশ করে উনি বলেন, ওর ফোনে ভিডিও আছে, তাই নিয়েছি। কত কোটি টাকা লাগবে বল, বিষয়টা তোমরা চেপে যাও।” ওই সময় বরিশালের এক সংসদ সদস্যের ছেলে পরিচয় দিয়ে আরেক যুবক সেখানে গিয়ে শাবাবের পক্ষে ঘটনার মীমাংসা করতে চাইছিলেন বলে জানান তিনি। শামীম মটরসাইকেলআরোহী যে যুবকের কথা বলেছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার বক্তব্য এসেছে টেলিভিশনের খবরে।টেলিভিশন ফুটেজে তাকে বলতে শোনা যায়, “২৭ নম্বরের ওখানে ইউটার্ন নিয়ে আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওদের বাসায় ঢুকছে। বাসায় ঢুকেই সে বলেছে, গেট বন্ধ করে দাও, গেট বন্ধ করে দাও। আমি ওর গাড়ির পিছন পিছন ঢুকছি, যদি এক সেকেন্ডও দেরি করতাম তাহলে ঢুকতে পারতাম না। “তারপর ছেলে বলছে যে, তোমার যত টাকা লাগবে দিব, ও কোনো ইস্যু না, তুমি অফ যাও। আমাকে ওর ফ্রেন্ড দিয়ে একটা ঘুষি মারছে, একটা লাথি মারছে।” এক পর্যায়ে বন্ধুর সঙ্গে ন্যাম ভবন থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কাফরুল থানায় যান জানিয়ে শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি বারবার আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে খারাপ আচরণও করেন। আমরা ৯৯৯-এ ফোন করেও ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি। তার সব ধরনের তথ্য-প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে।” তার এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে কাফরুল থানার ওসি সিকদার মো. শামীম এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন কর্মকারকে দুপুর থেকে বহুবার ফোন করলেও তারা ফোন ধরেননি। এক পর্যায়ে থানার টেলিফোন অপারেটর আব্দুর রব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, “রাত সাড়ে ১২টা-১টার দিকে আশরাফ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তারা গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন, গাড়িটি সর্বশেষ ন্যাম ভবনের ভেতরে ঢুকে যায় এবং গাড়িতে এমপির ছেলে শাবাব ছিল।” তার সঙ্গে কথা হওয়ার পরেও কাফরুল থানার ওসির বক্তব্য পেতে সন্ধ্যার পর আবার তাকে ফোন করা হয়। এ সময় ফোনে ওসি সিকদার মো. শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “না। এ রকম কেউ রাতে থানায় আসেনি।” পরে আগের রাতের ঘটনার বিষয়ে জানতে ন্যাম ভবনে গিয়ে সেখানে দায়িত্বপালনকারী প্রহরীদের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়। ন্যাম ভবনের ৫ নম্বর ব্লকের নৈশপ্রহরী নজরুল ইসলাম জানান, ভবনের ৬০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর নামে বরাদ্দ থাকলেও সেখানে গাড়িচালক ও গৃহকর্মীরা থাকেন। সাংসদের পরিবার থাকে ধানমন্ডিতে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার রাতে ন্যাম ভবনের ৫ ও ৪ নম্বর ব্লকের মাঝামাঝি শাবাব সাহেবকে ৫-৬ জন ছেলে-মেয়েসহ দেখা যায়। সেখানে কোনো ঝামেলা হয়েছে বলে মনে হয়। পরে তাদের গাড়িচালক নুরুল আমিন বলেন, তিনি সেদিন গাড়ি নিয়ে বের হননি। সাবাব সাহেব গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন।“ন্যাম ভবনের নিচে সাবাব সাহেবই গাড়ি রেখে যান। নুরুল আমিনকে বলি, আপনি গাড়িতে থাকলে তো সমস্যা হয়ে যেত।” দুর্ঘটনার সময় এই নুরুল আমিনই ‘গাড়ি চালাচ্ছিলেন’ বলে দাবি করেছেন শাবাবের মা শিউলী। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নুরুল আমিন নামে তাদের গাড়িচালক। উত্তরায় এক বান্ধবীর কাছে একটি পার্সেল পাঠিয়েছিলেন তিনি, সেটা নিয়ে যাচ্ছিলেন নুরুল আমিন। নুরুল আমিন এখন কোথায়- তা জানতে চাইলে শিউলী বলেন, তারাও ওই গাড়িচালককে এখন ‘খুঁজে পাচ্ছেন না’। ঘটনার বিষয়ে নুরুল আমিন ও শাবাব চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়িটির মালিক নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শিউলী। গাড়িটি কে চালাচ্ছিল সেটা আমরা নিশ্চিত না। “গাড়িটি আটকের পর কে সেটা চালাচ্ছিল সেটা জানা যাবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নিহত সেলিমের জামাতা আরিফ ভূঁইয়া বলেন, রাতে নিজের প্রতিষ্ঠানের গাড়ি জমা দিয়ে উত্তরখানের বাসায় ফিরতে বাসে উঠতে মহাখালীতে অপেক্ষা করছিলেন তার শ্বশুর। ওই সময় একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। “পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানায় গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনতে পারি। তারা বলেছে, প্রথমে একটি সাদা জিপ গাড়ি শ্বশুরকে চাপা দেয়। গাড়িটি তখন তার দুই পায়ের উপর দিয়ে যায়, চাপা খেয়ে উনি গাড়ির বাম্পার চেপে ধরেন। “তখন ব্যাক গিয়ার দিয়ে আবারও তাকে চাপা দেওয়া হয়। এরপর জোরে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিলে উনি উড়ে গিয়ে ফ্লাইওভারের গার্ডারে মাথায় ধাক্কা খান। সেখানে তার মগজ বের হয়ে যায়। তখন গাড়িটি টান দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার করে।” নিহত সেলিম ব্যাপারীর মেয়ে সাদিয়া আক্তার তামান্না সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সর্বশেষ বাবার সঙ্গে তার কথা হয়।“রাতে আমার বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা ছিল। বাবা বলেছিলেন, ডিউটি শেষ করে গাড়ি জমা দিয়েছি। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি, তোমার বাসায় যাব। এরপর মাকেও ফোন করে বলেছে, তোমরা ঘুমিয়ে পড়, আমি তামান্নার বাসায় যাব। এর কিছুক্ষণ পর রাত ১০টার দিকে আমার শ্বশুরের ফোনে কল করে কে যেন জানিয়েছে যে, বাবা অ্যাকসিডেন্ট করেছে, যেতে হবে।” সেলিম ব্যাপারী একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়ি চালাতেন বলে জানান তামান্না। সেলিমের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে তার। তামান্না বলেন, বাবার আয়েই তাদের সংসার চলত। “ভাইটা ছোট। একটা মেয়ে হয়ে আমি আর কী করতে পারব? এখন কীভাবে চলবে?” তথ্য সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা জারি করেছে সরকার। এতে বেসরকারি স্কুল পর্যায়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ে এবং কলেজ পর্যায়ে আইসিটি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষকের নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে এসব বিষয়ের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে না থাকার কারণে তারা বর্তমানে এমপিওভুক্ত হতে পারেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা গত ১২ জুন প্রকাশ করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ শীর্ষক এ নীতিমালা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুমোদন করার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। নতুন নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি করতে পারবে। বর্তমানে তাদের বদলির কোনো বিধান নেই। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর। এতদিন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পর্যায়ে কোনো বয়স নির্ধারণ করা ছিল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান সমকালকে বলেন, নতুন এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। এর পর কাউকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সহকারী প্রধান বা সাধারণ শিক্ষক পদে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেওয়া যাবে না। নীতিমালায় শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিয়োগের প্রাথমিক বয়স, অবসরের বয়সসীমাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ারও শর্ত রয়েছে এতে। বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে শিক্ষকও এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন না। নীতিমালায় বলা হয়, এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানে সমান বা উচ্চতর পদে আবেদন করতে পারবেন। কর্মরত প্রতিষ্ঠানপ্রধানের অনুমতি নিলে তিনি বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ চাকরি ছাড়েন, তা হলে সর্বোচ্চ দুই বছর তার ইনডেপ (বেতন পাওয়ার কোড) নম্বর বহাল থাকবে। এর বেশি হলে তা চাকরিতে বিরতি হিসেবে গণ্য হবে। ইনডেপ নম্বর বা নিবন্ধন সনদ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী, নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মেধাক্রম/মনোনয়ন/নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু একটি মাত্র তৃতীয় বিভাগ বা সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। বেতন-ভাতা ও অভিজ্ঞতা: বেসরকারি শিক্ষকরা সারাজীবনের জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে আটকে গিয়েছিলেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলে বেতন স্কেলের অষ্টম গ্রেডে যেতে পারবেন। চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে তারা সপ্তম গ্রেড পাবেন। নীতিমালা অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে হলে প্রভাষক পদে নয় বছর আর সহকারী অধ্যাপক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে শুধু মোট ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই চলত। ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই চলত। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য প্রভাষক পদে ১২ বছরের ও তিন বছর সহকারী অধ্যাপক পদের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নতুন নীতিমালায় স্কুল ও কলেজ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন করে একটি ‘অফিস সহকারী’র পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ নীতিমালায় পদ সমন্বয়ের সুযোগও রাখা হয়েছে। এর ফলে কোনো শিক্ষক ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত পদ শূন্য হলে তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। এ ছাড়া আগে চতুর্থ শ্রেণির পদে চারজন এমপিওভুক্ত হতেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে একজন অফিস সহায়ক, একজন প্রহরী, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন ঝাড়ুদার এমপিওভুক্ত হবেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। খানাখন্দ আর বিশাল গর্তে জনদূর্ভোগ ও ভোগান্তির পরঃ অবশেষে আখাউড়া ইউএনও’র উদ্যোগে আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের খরমপুর রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু আখাউড়া প্রতিনিধি, সময়নিউজবিডি খানাখন্দ আর বিশাল গর্তে জনদূর্ভোগ ও ভোগান্তির পর অবশেষে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের খরমপুর রাস্তার মরণফাঁদের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। যদিও রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) আওতাধীন । দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ও পানি নিস্কাষনের নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তৈরি হয় বিরাট এক গর্তের। এই মরণফাঁদ গর্তে অনেক সিএনজি অটোরিক্সা, বেটারিচালিত অটোরিক্সা ও যানবাহন উল্টে অনেক যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অবশেষে স্থানীয় সাংসদ আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেন। উনার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ কাজে সাঁড়া দিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যবসায়ীদের নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করে সংস্কার কাজ। একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ২১ জুন বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হবে সংস্কারের কাজ। ভোগান্তির শিকার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি সংস্কারের মাধ্যমে জনদূর্ভোগের লাগব হয়েছে এমনটাই মনে করছেন সাধারন মানুষ। সে জন্য জনগন আইনমন্ত্রী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম।
ba2782e9-d94c-4b68-881a-c7e8b4d25e84
সময়নিউজবিডি ক্রীড়া ডেস্ক মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে শনিবার ৫-২ গোলে জিতেছে বেলজিয়াম। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দলটি। ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ হারা তিউনিসিয়ার পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ; প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে শনিবার ম্যাচে সপ্তম মিনিটে আজারের সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। ডি-বক্সের মধ্যে চেলসির এই ফরোয়ার্ডকেই ফাউল করেছিলেন সিয়াম বেন ইউসুফ। ভিডিও রিভিউয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে পেনাল্টির। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা বেলজিয়াম ষোড়শ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয়। ড্রিস মের্টেন্সের দারুণ পাস থেকে পাওয়া বল কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু। দুই মিনিট পর ব্যবধান কমায় তিউনিশিয়া। ওয়াহবি খাজরির ফ্রি-কিকে নিখুঁত হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দাইলান ব্রন। ২২তম মিনিটে টবি অল্ডারভাইরেল্ডের শট ফিরিয়ে তিউনিশিয়াকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কেভিন ব্রুইনের বাড়ানো বল এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর জালে পাঠিয়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন লুকাকু। রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ডেরও গোল হলো ৪টি। ৫১তম মিনিটে আজারের দুর্দান্ত গোলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে নেয় বেলজিয়াম। উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের আলতো টোকায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন চেলসির এই ফরোয়ার্ড। ৬৮তম মিনিটে আজারের বদলি হিসেবে নামা বাতসুয়াই এরপর গোল পেতে পারতেন আরও তিনটি। একবার গোললাইন থেকে ফেরে তার শট। একবার শটে বল ফেরে ক্রসবারে লেগে। আরেকবার খুব কাছ থেকেও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি চেলসির এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের শেষ দিকে একটি করে গোল পায় দুই দলই। ৯০তম মিনিটে ইউরি টেলমানসের উঁচু করে বাড়ানো বল লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে আগের তিনটি সুযোগ নষ্টের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেন বাতসুয়াই। যোগ করা সময়ে তিউনিশিয়াকে ব্যবধান কমানো গোল এনে দেন ওয়াহবি। সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ঈদের ছুটি শেষে ফিরতিযাত্রার সড়কে ১০ জেলায় দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৭ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় বাস উল্টে ১৮ জন এবং রংপুর সদরে বিআরটিসির বাসে ট্রাকের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাস খাদে পড়ে দুইজন, সিরাজগঞ্জে ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে দুইজন, নাটোরে ট্রাকচাপায় দুই অটোরিকশা আরোহী, গোপালগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল অরোহীর মৃত্যু হয়েছে এবং বাসচাপায় এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাভারের আমিনবাজারে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে একজন, টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী এবং চুয়াডাঙ্গা ও নরসিংদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আরও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের সবার নাম পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যারা ঈদের পর বাড়তি ছুটি কাটিয়ে রাতের বাসে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। আবার কেউ চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন হাসপাতালে। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটি বাস উল্টে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ব্র্যাক মোড়ের কাছে বাঁশকাটা (গরুরহাট) এলাকায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আলম এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বাঁ পাশে বড় একটি রেইনট্রি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং উল্টে যায়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়; ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাতজন। পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পর আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। ওসি জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রংপুর ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এই আটজন হলেন- রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার এমদাদ আলী, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইউনুস আলী, নলীফামারীর জলঢাকা উপজেলার মিনারুল খাঁন, কুড়িগ্রাম রাজীবপুর উপজেলার মাসুদ রানা, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আবদুর রশিদ, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জহিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রুবেল মিয়া ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার আখতারুল ইসলাম। নিহতদের অধিকাংশই পেশায় গরু ব্যবসায়ী, পোশাক শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশার শ্রমিক বলে জানান ওসি। দুর্ঘটনার কারণে সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরিয়ে নেওয়ার পর সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পলাশবাড়ী থানার ওসি মো. মাহমুদুল আলম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অসাবধনতা কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।” বাসটি গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। পলাশবাড়ীর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শাহিনুর আলম জানান, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। রংপুররংপুর সদর উপজেলার শলেয়াশাহ বাজারের কাছে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে ট্রাকের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল্লাহ হেল বাকি জানান। তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল দোতলা বাসটি ঢাকা যাচ্ছিল। শলেয়াশাহ বাজারের কাছে এসে বাসের একটি চাকা ফেটে যায়। চালক ও চালকের সহযোগী তখন রাস্তার পাশে বাস থামিয়ে চাকা বদলাতে শুরু করেন। বাসের কিছু যাত্রীও নেমে এসে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। এমন সময় একটি বালুবাহী ট্রাক এসে পেছন থেকে বিআরটিসির বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওসি আবদুল্লাহ হেল বাকি বলেন, নিহতরা সবাই ছিলেন বাসের আরোহী। তাদের মধ্যে নিশাত ও সাজ্জাদ নামে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। “দুজনেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। সম্ভবত গার্মেন্টে কাজ করত। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় কাজে ফিরছিল তারা।” গোপালগঞ্জগোপালগঞ্জে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই শওকত হোসেন জানান। নিহতরা হলেন- বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) গোপালগঞ্জ অফিসের রেজিস্ট্রার ইমরান হোসেন (৩৮) ও মাঠ কর্মকর্তা পুলক ব্যাপারী (৩৪)। তাদের আরেক সহকর্মী রুবেল ফকিরসহ (৩৫) আহত ১১ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিকের হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, তার সহকর্মীরা ঈদের ছুটি শেষে মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর থেকে গোপালগঞ্জে ফিরছিলেন। পথে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। এস আই শওকত বলেন, বাগেরহাট থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘোনাপাড়ায় ওই মোটরসাইকলেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন মোটরসাইকেলের অপর আরোহী ফকির। পরে ওই বাসটি একটি ভ্যান ও দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় সড়ক বিভাজকে আটকে যায়। এ সময় বাস ও ভ্যানের ১০ জন আহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গিয়ে পরে সড়ক থেকে বাস দুটি সরিয়ে নেয়। এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস চাপায় এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১০ বাসযাত্রীও আহত হন বলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান। নিহত ভ্যানচালক লোকমান শেখ (৫০) মুকসুদপুর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হামীম পরিবহনের একটি বাস দাসেরহাটে বনফুল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান লোকমান। ভ্যানটি চাপা দেওয়ার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে আহত হন ১০ যাত্রী । খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায় বলে জানান ওসি। সিরাজগঞ্জসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়েছে; এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের ১০ যাত্রী। শনিবার ভোরে রায়গঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রায়গঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোজাম্মেল হোসেন জানান। নিহতরা হলেন- ট্রাক চালক শরিফ উদ্দিন এবং তার সহকারী শফিকুল ইসলাম। তাদের দুজনেরই বাড়ি রায়গঞ্জ উপজেলার শ্যামনাই গ্রামে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী আর কে পরিবহনের বাসটির সঙ্গে বালুবাহী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। পরে আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। নাটোর নাটোর শহরে বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় দুই অটোরিকশা আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাটোর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ওসি মশিউর রহমান শিকদার জানান। নিহতরা হলেন নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল গ্রামের সুদিষ্ণু দেবনাথ (৫৫) ও তার প্রতিবেশী কানাইচন্দ্র (৩০)। সুদিষ্ণুর স্ত্রী ও মেয়েও এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি জানান, ওই চারজন সকালে অটোরিকশায় করে নাটোরের মিশন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য। রাজশাহী থেকে নাটোরগামী একটি বালুবোঝাই ট্রাক পেছন থেকে ওই অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। নাটোর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আকবর হোসেন জানান, তার চোখের সামনেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “দ্রুতগামী ট্রাকটা মুহূর্তের মধ্যে অটোরিকশাটাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে চলে গেল।” ওসি মশিউর রহমান শিকদার বলেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ট্রাক চালক দ্রুত তার গাড়ি নিয়ে ওই এলাকা থেকে চলে যায়। পুলিশ ট্রাকটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। ফরিদপুরফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুহিন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। তাদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পূর্ব সদরদি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার সাইফুজ্জামান জানান। তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে বরিশাল থেকে রাজশাহীগামী বাসটি সদরদি এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাসটি তখন রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান সাইফুজ্জামান। নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের লাশ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রয়েছে। টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর প্রাণ গেছে। শনিবার দুপুরের দিকে সখীপুর-গোপীনপুর সড়কের তৈলধারা বটার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী জানান। নিহত আবদুল বাছেদ মিয়া (৩০) উপজেলার জিতাশ্বরী এলাকার আবদুল জব্বার মিয়ার ছেলে। ওসি জানান, বাছেদ মাছ ধরার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে সখীপুর থেকে চাপড়াবিলে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাছেদকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি। সাভারঢাকার সাভারে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাভার থানার ওসি মোহসিনুল কাদির জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে আমিনবাজারে কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, দ্রুতি পরিবহনের বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় একটি ট্রাক ইউ টার্ন নিতে গেলে দুই বাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তারা কে কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন- সে তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের প্রধান সড়কে এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও আহত হয়েছেন বলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান জানান। নিহত পথচারী ওবায়দুর রহমান (৫০) ওই গ্রামের মৃত ইরফান আলীর ছেলে। মোটরসাইকেলের আরোহী মহসিন আলীকে (২৬) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এবং চালক মাসুদ রানাকে (২৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি বলেন, দামুড়হুদা উপজেলার ছুটিপুর গ্রামের মাসুদ রানা ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মহসিন মোটরসাইকেলে করে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আলোকদিয়া গ্রামে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওবায়দুর রহমানকে ধাক্কা দেয় ওই মোটরসাইকেল। এতে ওবায়দুর ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে মাসুদ ও মহসিনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওবায়দুরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি। নরসিংদী নরসিংদীর রায়পুরায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বৃদ্ধ পথচারী নিহত হয়েছেন। উপজেলার মরজাল লাকী আক্তার পার্ক এলাকায় শনিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান। নিহত হাসান মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। পরিদর্শক লুৎফর বলেন, উপজেলার মরজাল গ্রামের সুর“জ মিয়ার ছেলে সোহাগ (২২) মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় যোশর বাজার থেকে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া পথে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো হাসান মিয়াকে ধাক্কা দেয়। “এতে তিনি গুরুতর আহত হাসান মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।” খবর পেয়ে পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করলেও সোহাগ পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। তথ্য সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।
9978cb4e-b5be-4acf-86a9-550383b90e8c
শাবাব চৌধুরী, ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পরিবারের মালিকানাধীন গাড়িচাপায় নিহত সেলিম ব্যাপারীর পরিবার জানিয়েছে, এমপির পক্ষ থেকে এককালীন ২০ লাখ টাকা ও মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার আশ্বাসে মামলা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছেন তারা। পাঁচ দিন আগের ওই দুর্ঘটনায় নিহত সেলিম ব্যাপারীর (৫৫) বোনের স্বামী আবদুল আলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেলিমের স্ত্রী চায়না ব্যাপারীর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এমপি সাহেব। ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলেছেন।” এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, “এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। উত্তর দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেছি।” সেলিম ব্যাপারীর পরিবারের সঙ্গে আপস বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে এই সংসদ সদস্য বলেন, “না..না.. আমি সেখানে যাইনি…।” আবদুল আলিম বলছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে মহাখালীর ডিওএইচএসে নাওয়ার প্রোপার্টিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে ওই আপস বৈঠক হয়। সেলিম ব্যাপারীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এমপি একরামুল করিমের পক্ষে কয়েকজন সেখানে ছিলেন। “এমপির পক্ষে যারা এসেছিলেন, তারা আমাদের ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। পরে এমপি সাহেবের সাথেও আমরা দেখা করেছি। ওই মামলাটি এখন আমরা তুলে নেব।” সেলিম ব্যাপারী দুই যুগের বেশি সময় নাওয়ার প্রোপার্টিজের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। গত ১৯ জুন রাতে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে একটি গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হন। ওই রাতেই তার মেয়ের জামাই আরিফ ভূঁইয়া কাফরুল থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই গাড়ির মালিক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শিউলী। এই সাংসদপত্নী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার সময় ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সাংসদপুত্র শাবাব চৌধুরী। অন্যদিকে শাবাবের মায়ের ভাষ্য, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাদের একজন ড্রাইভার, শাবাব নয়। সেই রাতে দুর্ঘটনার পর গাড়ি অনুসরণ করে ন্যাম ভবনে গিয়ে এর সঙ্গে এমপিপুত্র শাবাবের ‘সম্পৃক্ততার কথা’ জানতে পারেন শামীম আশরাফি নামে ধানমণ্ডি এলাকার এক ব্যবসায়ী। রাতেই তিনি কাফরুল থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেদিন তিনি বলেন, “ন্যাম ভবনে প্রবেশ করার আগে গার্ডকে জিজ্ঞাসা করতেই সে জানায়, ওই গাড়িতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিমের ছেলে শাবাব চৌধুরী আছেন।” মোটরসাইকেল আরোহী আরেক ব্যক্তি সেদিন শামীমের মত অনুসরণ করে ন্যাম ভবনে গিয়েছিলেন। শাবাব চৌধুরীকে তিনি বলেছিলেন, গাড়িচাপায় একজনের মৃত্যুর ঘটনার ভিডিও তার মোবাইল আছে। শাবাব যেন নিহতের পরিবারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চায় এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়। “কিন্তু শাবাব তাকে বলেন, আমরা সোসাইটির কোন লেভেল মেইনটেইন করি তা তো জানো। তোমরা চলে যাও। এমনটা হতেই পারে,” বলেন শামীম। তিনি বলেন, ভিডিও করায় ওই মটরসাইকেলআরোহীর মোবাইল ফোন শাবাব কেড়ে নেন এবং বিষয়টি চেপে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ জন্য যত টাকা লাগে তা তিনি দিতে রাজি। ন্যাম ভবনের ৫ নম্বর ব্লকের নৈশপ্রহরী নজরুল ইসলাম সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে ন্যাম ভবনের ৫ ও ৪ নম্বর ব্লকের মাঝামাঝি শাবাব সাহেবকে ৫-৬ জন ছেলে-মেয়েসহ দেখা যায়। সেখানে কোনো ঝামেলা হয়েছে বলে মনে হয়। পরে তাদের গাড়িচালক নুরুল আমিন বলেন, তিনি সেদিন গাড়ি নিয়ে বের হননি। শাবাব সাহেব গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন।” দুর্ঘটনার বিষয়ে নুরুল আমিন বা শাবাব চৌধুরী- কারও বক্তব্যই জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। নাওয়ার প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান গত শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ফোন করে ‘সমঝোতার প্রস্তাব’ দেন। “তিনি চান, নিহতের পরিবারের পাশে থাকার বিনিময়ে তারা কাফরুল থানায় করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। ফোনে কথা বলার পর এমপি সাহেব আমার বারিধারার অফিসে লোক পাঠিয়েছিলেন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনার জন্য।” সেলিম ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এ কারণে তার পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার প্রস্তাব সাংসদকে দিয়েছিলেন বলে জানান ইমরান। তিনি বলেছিলেন, “টাকা পয়সা দিয়ে তো জীবনের দাম হবে না। আবার মামলা চালিয়েই বা কী হবে? পরিবারটির দিকে তাকিয়েই মূলত এমপি সাহেবের সমঝোতার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছি।” সমঝোতার আলোচনার সময় দুর্ঘটনায় শাবাবের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ইমরান সেদিন বলেন, “এমপি সাহেব সেটা সরাসরি স্বীকার না করলেও তাদের গাড়িতেই যে দুর্ঘটনা ঘটেছে এটা স্বীকার করেছেন।” মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান গত শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তারা জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। সেলিম ব্যাপারীর পরিবার আপসে রাজি হওয়ায় এখন মামলার ভবিষ্যত কী হবে- এই প্রশ্নে কাফরুল থানার ওসি সিকদার মোহাম্মদ শামিম রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আপসের বিষয়ে এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। আশুগঞ্জ সংবাদদাতা, সময়নিউজবিডি সেলফি কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুতে। রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায় নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ১৭/১৮ হবে। এ ব্যাপারে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, ওই যুবক দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতুতে দাঁড়িয়ে ট্রেনের সামনে সেলফি তোলার চেষ্টা করছিল। এ সময় সেতু দিয়ে আসা একটি ট্রেন তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। নবীনগর সংবাদদাতা, সময়নিউজবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সা ও ভটভটির সংঘর্ষে গোলাম মোর্শেদ (১৪) নামে এক কিশোর নিহত ও আরো দুজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জুন রবিবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার ভোলাচং গ্রামের সড়কে। নিহত মোর্শেদ ভোলাচং গ্রামের মধ্যপাড়ার আঃ আওয়াল শিকদারের ছেলে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। জানা যায়, রবিবার দুপুর দেড়টায় নবীনগর উপজেলার ভোলাচং নামক স্থানে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সা ও ভটভটির সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় অটোরিকশায় থাকা কিশোর মোর্শেদসহ আরো দুই যাত্রী। পরে তাদদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্শেদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত রাজু আহমেদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় নতুন ১০ তলা ভবন উদ্বোধন।। ৭০ বছরে পদার্পণ করল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি সময়নিউজবিডি রিপোর্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের নতুন ১০ তলা ভবন চালু হল দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নতুন এই ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ সভেনত্রী হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলেক্ষ সকাল ১০টায় তিনি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলুন ও পয়রা উড়িয়ে উদ্বোধন হয় আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের নতুন ভবনের। আওয়ামী লীগ নেতারা পরে সেখানে দাঁড়িয়ে মোনাজাতে অংশ নেন। ভবনের সামনে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নব নির্মিত ১০ তলা এই ভবন আগামী শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদ্বোধন করবেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন কার্যালয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখে তিনি নবম তলায় সভানেত্রীর জন্য নির্ধারিত কক্ষে গিয়ে বসেন।নিজস্ব অর্থায়নে দশ কোটি টাকা ব্যয়ে আট কাঠা জমির ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটিই এখন থেকে আওয়ামী লীগের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহৃত হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, নতুন ভবন উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম এ কার্যালয় থেকেই চলবে। আর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের নির্বাচনী কার্যক্রম ও সিআরআইসহ দলের অন্যান্য সংস্থার গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। ভবনটির প্রথম থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোর ৪ হাজার ১০০ বর্গফুট। চতুর্থ তলা থেকে উপরের সবগুলো ফ্লোর ৩ হাজার ১০০ বর্গফুটের। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় সাজানো হয়েছে দলের অফিস, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও মিডিয়া রুম। ষষ্ঠ তলায় সম্মেলন কক্ষ; সপ্তম তলা বরাদ্দ দলের কোষাধ্যক্ষের জন্য।অষ্টম তলায় সাধারণ সম্পাদকের অফিস। নবম তলায় বসবেন দলের সভানেত্রী। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ফ্লোরটি ‘বুলেটপ্রুফ’ করা হয়েছে। দশম তলায় রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। ভবন ঘুরে দেখা যায়, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য রয়েছে সুপরিসর কক্ষ। সভাপতির কক্ষের সঙ্গে রয়েছে বিশ্রামাগার ও নামাজের জায়গা। দ্বিতীয় তলায় মাঝখানে কনফারেন্স রুম আর দুই পাশে বেশ কিছু কক্ষ রয়েছে। কনফারেন্স রুমে ৩৫০ জনের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তৃতীয় তলায়ও ২৪০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। এই ফ্লোরের সামনের অংশে আছে ‘ওপেন স্কাই টেরেস’। আর ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীমসহ সমমনা অন্যান্য সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া ভবনে রয়েছে ভিআইপি লাউঞ্জ, সাংবাদিক লাউঞ্জ, ডরমিটরি ও ক্যান্টিন। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই পুরো ভবনটি থাকবে ওয়াইফাইয়ের আওতায়। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নবনির্মিত ১০ তলা ভবনের নামফলক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি কার্যালয়ের সামনে স্টিলের বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। পাশেই দলীয় প্রতীক নৌকা।সবার উপরে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। এরপর দুটি ম্যুরালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃশ্য। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ভবনের সামনে একটি স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগের ৬৯ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম স্থায়ী অফিস এবং এটাই দেশের সকল রাজনৈতিক দলের ইতিহাসে সর্বাধুনিক পার্টি অফিস। “লক্ষ্য ছিল দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা। সেই হিসাবে আগামী সেপ্টেম্বরে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার চার মাস আগেই শেষ হয়েছে।” বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি সরকারি জমি লিজ নিয়ে করা হয়েছিল। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছে নতুন এই ভবন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নবনির্মিত ১০ তলা এই ভবন আগামী শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদ্বোধন করবেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি ওই জমি ৯৯ বছরের জন্য সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়ার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। নির্মাণ কাজ চলে পূর্তমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে।বিল্ডিং কোড মেনে সামনের দিকে রাস্তা থেকে ১০ ফুট এবং পেছনের দিকে ১৭ ফুট জায়গা ছেড়ে মোট জমির ৬৫ শতাংশ ব্যবহার করে ভবনটি তৈরি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের জন্য নতুন কার্যালয় একটি উপহার।” প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের অফিস স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছে অন্তত আটবার। পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। শুরুর দিকে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসায় বসে দল পরিচালনার নীতি-কর্মসূচি গ্রহণ করা হত, কোনো অফিস ছিল না। ১৯৫৩ সালে কানকুন বাড়ি লেইনে অস্থায়ী একটি অফিস ব্যবহার করা হত। ১৯৫৬ সালে পুরান ঢাকার ৫৬, সিমসন রোডের ঠিকানায় যায় আওয়ামী লীগের অফিস। ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯১, নবাবপুর রোডে দলীয় অফিস নেন। এর কিছু দিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে বসা শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা হয় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। এবার সেখানেই স্থায়ী ভবন পেল আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়। সূত্রঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম।
e20fb691-25c3-45ef-97ae-510cb96f4843
সময়নিউজবিডি রিপোর্ট রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশ বিষয়ক কর্মশালায় আল মামুন সরকারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র বিকশিত রূপ পেয়েছে সময়নিউজবিডি রিপোর্ট সময়নিউজবিডি রিপোর্ট আজ রবিবার এই সেবা দিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য আমরা ১৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালকে ১৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম দিয়ে রাখব। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনুযায়ী উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দেব। একজন মুক্তিযোদ্ধা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহযোগিতা পাবেন। প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির ইয়ার্ডে কয়লার ঘাটতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত দল। সোমবার খনি পরির্দশন শেষে দিনাজপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ একথা জানান। তিনি বলেন, কয়লার মজুদ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখলাম এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু ইয়ার্ডে মজুদ দেখলাম প্রায় দুই হাজার টন। সেখানে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তিনি। এরআগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে বেরিয়ে দুদক উপ-পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তারা এখানে এসেছেন এবং তদন্ত কাজ করছেন। এরআগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে দুর্নীতির খবর অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। বড়পুকুরিয়া খনির এই কয়লা ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এক মাসের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশ্বস্ত করেছে। সে থেকে আশা করা যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যেতে পারবে। কয়লা সংকটের বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষ আগে জানালে রেশনিং পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতেন বলেও এই কর্মকর্তা জানান। ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড় পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে। খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন রোববার রাতে বন্ধ হয়ে গেছে। ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়ায় বিকল্প পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট দুই বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। ‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন ওই হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অভিযোগপত্রে। পুলিশ বলছে, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস আগে থেকে ওই হামলার পরিকল্পনা করে প্রস্তুতি নেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ তরুণের ওই হামলায়১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়। নজিরবিহীন ওই হামলা দেশে জঙ্গিবাদের বিপদজনক বিস্তারের মাত্রা স্পষ্ট করে তোলে। বড় ওই ধাক্কা বাংলাদেশকে বদলে দেয় অনেকখানি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সোমবার বিকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই অভিযোগপত্র জমা দেন। তার আগে সকালে মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম তাদের তদন্তের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তদন্তে উঠে এসেছে, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা, বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো।” হামলায় আহত গোয়েন্দা পুলিশের এসি রবিউল ইসলামকে সহকর্মীরা নিয়ে যান হাসপাতালে। ওই রাতেই মৃত্যু হয় তার। নজিরবিহীন হামলা গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের তীরে হলি আর্টিজান বেকারির সবুজ লন ছিল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিদেশিদের নিয়মিত আনাগোনা এবং শিথিল নিরাপত্তার কারণেই ওই রেস্তোরাঁকে জঙ্গিরা হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল বলে তদন্তকারীদের ধারণা। সেই রাতে পাঁচ তরুণ অস্ত্র হাতে ওই রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ার পর শুরু হয় ভয়ঙ্কর নৃশংসতা। তারা জবাই ও গুলি করে ২০ জনকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। হামলার খবর পেয়ে সেখানে প্রবেশ করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা বোমায় প্রাণ হারান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই হামলার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনামে চলে আসে; তখনও অনেকে হলি আর্টিজানের ভেতরে কার্যত জিম্মি হয়ে আছেন। সারা রাত উৎকণ্ঠার পর সকালে শুরু হয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো দলের অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। তাদের অভিযানের মধ্যে হামলাকারী পাঁচ তরুণ ও ক্যাফের এক পাচক নিহত হন। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ১৩ জনকে। আসামি যারা মনিরুল জানান, ওই হামলায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন, তারা পাঁচজন হলি আর্টিজানেই নিহত হয়। ওই ঘটনায় জড়িত আরও আটজন নিহত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে। গুলশান হামলায় জড়িত হিসেবে যে ২১ জনকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে তাদের মধ্যে জীবিত আট জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই আট আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, বাকি দুজন পলাতক। কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর। পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে বলে জানান মনিরুল। হামলায় অংশ নেওয়া নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি নিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল সেদিনই অভিযানে নিহত হন। আর গুলশান হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অভিযানে ও সারোয়ার জাহান আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে; নুরুল ইসলাম মারজান মোহাম্মদপুরে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’; তানভীর কাদেরী আজিমপুরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অভিযানে; অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম রূপনগরে কাউন্টার টেররিজমের অভিযানে; বাসারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিযানে এবং আবু রায়হান তারেক কল্যাণপুরের অভিযানে নিহত হন। জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের সঙ্গে হাসনাত করিম ও অস্ত্র হাতে তাহমিদ (কালো টি-শার্ট পরা); কমান্ডো অভিযানের আগের এই ছবি সোশাল মিডিয়ায় আলোড়ন তোলে হাসনাত করিমকে অব্যাহতি গুলশান হামলার মামলায় দুই বছর ধরে বন্দি থাকলেও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমকে বাদ রেখেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। হামলার দিন সপরিবারে গুলশানের ওই ক্যাফেতে ছিলেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হাসনাত করিম। তাদের উদ্ধারের পর সন্দেহ সৃষ্টি হলে হাসনাত করিমকে পরের মাসেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাসনাতের স্ত্রী জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছিলেন, জিম্মি অবস্থায় জঙ্গিদের বিভিন্ন নির্দেশ মেনে কাজ করতে হয়েছিল তার স্বামীকে। কিন্তু বার বার আবেদন করেও হাসনাত জামিন পাননি। হাসনাত করিমকে কেন অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, “মামলার সময় এজাহারের কলামে কারো নাম উল্লেখ ছিল না। অনেকেই আমাদের হাতে আটক ছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, কেবল তাদের নাম অভিযোগপত্রে এসেছে। যেহেতু হাসনাত করিমের নামে কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল বলেন, হলি আর্টিজান থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল, তাদের কেউ হাসনাত করিমের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। হামলার পর সংবাদমাধ্যমে আসা যেসব ছবির ভিত্তিতে হাসনাত করিমের বিষয়ে সন্দেহ জোরালো হয়েছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করেও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। “নব্য জেএমবি একটি সাংগঠনিক পরিকল্পনা নিয়ে ওই হামলা করে। তাদের পরিকল্পনার কোথাও আমরা হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পাইনি। ২১১ জনের সাক্ষ্যতেও তার নাম আসেনি। তাই হাসনাত করিমকে অভিযোগপত্রে নেওয়া হয়নি।” অভিযানের সকালে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে নিহত হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলামকে শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও অভিযোগপত্রে তাকে আসামি করা হয়নি। জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ওই বেকারির সহকারী বাবুর্চি জাকির হোসেন শাওনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ আটক করেছিল। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শাওনের বিষয়েও তদন্তকারীরা শুরুতে জঙ্গি সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা বলেছিলেন। তবে তদন্তে তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরা এখন স্মৃতির পাতায়; গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন তারা ছয় মাস আগে পরিকল্পনা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামিরা হলি আর্টিজানে হামলার জন্য ছয় মাস আগেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল বলে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে। “তারা এ ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে কোণঠাসা করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে সরকার চাপের মুখে ফেলতে চেয়েছিল, যাতে ইনভেস্টররা দেশ থেকে চলে যায়, এক্সপোর্টাররাও যাতে না আসে, পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাংলাদেশে চলছিল এগুলোর যারা বিদেশি কনসাল্টেন্ট ছিল, তারা যাতে এই দেশে আর না আসে…। “অর্থাৎ দেশ যাতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সরকার যাতে বিব্রত হয় এবং একটা পর্যায়ে সরকার আসল জঙ্গিদের ধরতে না পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করে, মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। যার ফলে সরকারের বিরুদ্ধে যাতে বিক্ষোভে সাধারণ মানুষকে কাজে লাগাতে পারে। এজন্যই তারা হামলা করেছিল।” মনিরুল বলেন, গুলশানের হামলাকারীদের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল বড় ধরনের নৃসংশতা ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। “যাদের অস্ত্র আছে, অর্থ আছে, টেকনোলজি আছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছিল একটা বড় উদ্দেশ্য। তারা চিন্তা করেছিল, বেশি সংখ্যক বিদেশিকে হত্যা করতে পারলে দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিস্ট গ্রুপের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে, সেজন্যই হলি আর্টিজানকে বেছে নিয়েছিল।” এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিরা আরও কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখলেও হলি আর্টিজানে তেমন কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় ওই জায়গাটিই তারা বেছে নেয়। হামলার জন্য যাদের বাছাই করা হয়েছিল, তাদের বিভিন্ন স্থানে দলের ‘অপারেশন’ দেখতে পাঠানো হয়, যাতে তারা বাস্তব ধারণা পায়। জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকতে গিয়ে বোমা আর গুলির মধ্যে আহত হন বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। বিদেশি সম্পৃক্ততা মেলেনি তদন্তের মাঝ পর্যায়ে গত বছর মনিরুল বলেছিলেন, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী (মাস্টারমাইন্ড) তামিম চৌধুরী, মূল প্রশিক্ষক (মাস্টার ট্রেইনার) মেজর জাহিদ কিংবা তানভির কাদেরি, নুরুল ইসলাম মারজান ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি। পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গুলশান হামলার জন্য বগুড়ার দুই জঙ্গিকে নিয়োগ করেন রাজীব আর বসুন্ধরায় বাসা ভাড়া ও জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধও করেন তিনি। সাগর সীমান্তের ওপার থকে আসা অস্ত্র ঢাকায় মারজানের কাছে পৌঁছান। বাশারুজ্জামান মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে দুই দফা হুন্ডির মাধ্যমে আসা ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং সেই টাকা গুলশান হামলায় ব্যবহৃত হয়। অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে মনিরুল বলেন, আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি নেটওয়ার্ক, আইএস, হিযবুত তাহরীর বা কোন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে হলি আর্টিজানের হামলাকারী বা নব্য জেএমবির কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ তারা তদন্তে পাননি। “তামিম চৌধুরী বা তানভীর কাদেরীর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হয়ত কোনো তথ্য বেরিয়ে আসত। বিদেশি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ থাকলে তা একমাত্র তামিম চৌধুরীর সাথেই থাকতে পারত। কিন্তু তাকে জীবিত ধরতে না পারায় জানা সম্ভব হয়নি।” কমান্ডো অভিযানের পর বেরিয়ে আসছেন হাসনাত করিম ও তার স্ত্রী সাক্ষী ২১১ জন মনিরুল জানান,এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে মোট ২১১ জনকে। তাদের মধ্যে ১৪৯ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানেন। প্রতিবেদনের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৭৫টি আলামত আদালতে পাঠানো হয়েছে। “যারা বেকারির কর্মচারী ছিল, এমন একটা বড় সংখ্যার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বেরিয়ে এসেছে। তাদের আমরা সাক্ষী হিসেবে দিয়েছি। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন আলামত আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলাম, সেই রিপোর্টও এসেছে। সেগুলিও আমরা আদালতে পাঠিয়েছি।” এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, ওই ঘটনায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিল, তারা ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়ায় তদন্তে বেশি সময় লেগেছে। “আবার কিছু জীবিত ছিল যাদের ধরতে বিভিন্ন অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযানেও অনেকে মারা যায়।… নব্য জেএমবির ছোট কিংবা বড় কোনো নেতাকেই আমরা জীবিত গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তাই তাদের অন্য কোনো বড় উদ্দেশ্য ছিল কিনা- তা জানা সম্ভব হয়নি। জীবিত কাউকে ধরতে পারলে হয়ত আরও বেশি তথ্য পাওয়া যেত।” মনিরুল বলেন, “জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেশি বিদেশি ও পুলিশ সদস্যরা যারা মারা গিয়েছিল, তাদেরকে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা ছিল। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোোর্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই ‘নানা রকম খেলাও শুরু হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভায় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দলটির আরেক নেতার জড়িত থাকার তথ্য পুলিশ তুলে আনার প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, নানা রকম খেলাও শুরু হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই।” “তারা যখন নির্বাচনে জনগণের কাছে যেয়ে সাড়া পাচ্ছে না, তখন এই ব্লেইম গেম খেলা শুরু এবং হাতে নাতে ধরা,” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে একদিন আগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে, তিনি দলের প্রার্থী বুলবুলের পথসভায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে মন্টুর কথিত ফোনালাপের একটি অডিও পাওয়ার কথাও পুলিশ জানায়। শেখ হাসিনা বলেন, “দেখা গেল, তাদের নিজেদেরই ভাষা বেরিয়ে আসল, তারা নিজেরাই করেছে, শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করার জন্য। “তাদের নিজেদের ভাষ্যতেই বেরিয়ে গেল এই ঘটনাটা তারা ঘটিয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপরে দলের উপরে অভিযোগ দিল, দোষারোপ করল।” সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অভিযোগ তুলতেই এই হামলার ঘটনা সাজানো হয়েছিল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারা এই বোমা হামলা করল.. সে যে দলেরই হোক, তাকে ধরা হোক।” বিএনপির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “দেখা গেল তারা নিজেরা বোমা মেরে নিজেরা খেলা খেলে। এটা তাদের নিজেদের অভ্যাস আছে। নিজেরা বোমা মারবে, নিজেরা গাড়ি ভাঙবে, নিজেরা একটা ঘটনা ঘটাবে তারপর ব্লেম গেম…। “এই মিথ্যাচারে বিএনপির সাথে আর কেউ পারবে না। এই সমস্ত নাটক করার তারা যথেষ্ট পারদর্শী।” উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন তো তাদের ভালো লাগবে না, চোখে লাগবে না। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সম্মান পাচ্ছে; তখনই তাদের অন্তর্জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।” মামলার হাজিরার দিনে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া খায় দায় জেলখানায়, যেই মামলার তারিখ হয়, উনি অসুস্থ হয়ে যায়। এ আরেক নাটক শুরু হয়েছে। যখনই কোর্টের তারিখ পড়ে তখনই উনি অসুস্থ!” বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “এতিমের টাকা মেরে, সেই কারণে তো জেলে। জেলে তো আর আমরা দিইনি। আমাদের কাছে তো মুক্তির আন্দোলন করে তো লাভ নেই। আমরা তো ইচ্ছে করলেই ছাড়তে পারব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোর্ট না অর্ডার দেবে। “আইনজীবীরা এত কথা বলে.. তারা কিছুতেই প্রমাণ করতে পারল না যে, এই টাকাটা খালেদা জিয়া বা তার পরিবার নেয় নাই। সে দোষটা কি আমাদের নাকি? “দোষ দিলে নিজেদের ওপরই দিতে হবে .. যে, এত বড় বড়, মানে বাঘা বাঘা আইনজীবী সব; তারা ব্যর্থ হয়ে গেলো এটা প্রমাণ করতে যে উনি করেন নাই।” কারাগারে খালেদা জিয়াকে সব সুবিধা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খানাপিনা কোনো দিক দিয়ে তো আমি কম দেখছি না। খোঁজ-খবর তো আমরা রাখি। তাকে মেইড সার্ভেন্ট দেওয়া হয়েছে। তার জন্য স্পেশাল খাট, স্পেশাল গদি.. কোনো কিছু তো কম দিই নাই। এয়ার কন্ডিশন.. সবই ব্যবস্থা তার জন্য জেলখানায়। যা যা চাচ্ছে, তাই পাচ্ছে। এই রকম আয়েশ করে তো, আর কেউ পায়েস খেতে পারে নাই।
28f04d11-05ae-491a-b341-9700d40b2f5c
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন তামিম ইকবাল। ঝড়ো ফিফটিতে শেষ করলেন মাহমুদউল্লাহ। মাঝখানে ঝড় তুলে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। বাকিটা সারলেন বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০১/৬ (তামিম ১০৩, এনামুল ১০, সাকিব ৩৭, মুশফিক ১২, মাহমুদউল্লাহ ৬৭*, মাশরাফি ৩৬, সাব্বির ১২, মোসাদ্দেক ১১*; কট্রেল ১/৫৯, হোল্ডার ২/৫৫, বিশু ১/৪২, পল ০/৭৭, নার্স ২/৫৩, গেইল ০/১৪) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৮৩/৬ (গেইল ৭৩, লুইস ৩৩, হোপ ৬৪, হেটমায়ার ৩০, কাইরন পাওয়েল ৪, রোভম্যান পাওয়েল ৭৪*, হোল্ডার ৯, নার্স ৫*; মাশরাফি ২/৬৩, মিরাজ ১/৪৫, মুস্তাফিজ ১/৬৩, মোসাদ্দেক ১০/০, মাহমুদউল্লাহ ০/২০, রুবেল ১/৩৪, সাকিব ০/৪৫) ফল: বাংলাদেশ ১৮ রানে জয়ী। রুবেলের দুর্দান্ত ওভার ৪৯তম ওভারে রুবেল হোসেনকে আক্রমণে ফেরালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ককে হতাশ করেননি রুবেল। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। তার অসাধারণ বোলিংয়ে সিরিজ জয়ের আশা উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ২৮ রান। স্বাগতিকদের হাতে আছে ৪ উইকেট। হোল্ডারকে ফেরালেন মুস্তাফিজ দ্বিতীয় স্পেলে খরুচে বোলিং করা মুস্তাফিজুর রহমান তৃতীয় স্পেলে ফিরেই আঘাত হেনেছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন জেসন হোল্ডারকে। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মুস্তাফিজকে উড়াতে চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। লং অফ থেকে ছুটে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন রুবেল হোসেন। ১০ বলে ৯ রান করে ফিরে যান হোল্ডার। ভাঙে তার সঙ্গে রোভম্যান পাওয়েলের ৪ ওভার স্থায়ী ৩৮ রানের জুটি। ৪৭.১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৬২/৬। ক্রিজে পাওয়েলের সঙ্গী অ্যাশলি নার্স। পাওয়েলের ঝড়ো ফিফটি ঝড়ো ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ে রেখেছেন রোভম্যান পাওয়েল। তার ব্যাটে সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে স্বাগতিকরা। ২৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রোভম্যান পাওয়েল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি করে ছক্কা-চার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ৪৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৫১/৫। রোভম্যান পাওয়েল ৫০ ও জেসন হোল্ডার ৭ রানে ব্যাট করছেন। হোপকে ফেরালেন মাশরাফি ফিফটি করার পর রানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শেই হোপ। তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। স্লগ করে মিপ মিডউইকেট দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে উড়াতে চেয়েছিলেন হোপ। মাশরাফির অফ কাটারে ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ক্যাচ মুঠোয় নেন সাকিব আল হাসান। ৯৪ বলে পাঁচটি চারে ৬৪ রান করে ফিরেন হোপ। ৪৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২২৯/৫। ক্রিজে রোভম্যান পাওয়েলের সঙ্গী জেসন হোল্ডার। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ৭৩ রান। কাইরন পাওয়েলের রান আউটে চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারলেন কাইরন পাওয়েল। একাদশে ফেরা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সেই ওভারেই ফিরে গেলেন রান আউট হয়ে। শেই হোপ বল কাভারে পাঠালে রানের জন্য ছুটেন কাইরন পাওয়েল। হোপ তাতে সাড়া দেননি। মাশরাফি বিন মুর্তজার থ্রো ধরে বেলস ফেলে দেন মিরাজ। ৭ বলে ৪ রান করে ফিরে যান বাঁহাতি কাইরন পাওয়েল। ৩৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৮০/৪। ক্রিজে হোপের সঙ্গী রোভম্যান পাওয়েল। ৭৭ বলে হোপের ফিফটি তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় মন্থর এক ফিফটি করলেন শেই হোপ। একবার জীবন পাওয়া ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান পঞ্চশ ছুয়েছেন ৭৭ বলে। ফিফটি পাওয়ার পথে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান হোপ। কাইরন পাওয়েলকে জীবন দিলেন সাব্বির মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আবার হাতছাড়া হল সুযোগ। এবার কাইরন পাওয়েলের ক্যাচ ছাড়লেন সাব্বির রহমান। লং অন দিয়ে অফ স্পিনারকে উড়াতে চেয়েছিলেন পাওয়েল। এগিয়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাব্বির। সেই সময় ২ রানে ব্যাট করছিলেন পাওয়েল। হেটমায়ারকে ফেরালেন মিরাজ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ারকে বিদায় করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভেঙেছেন স্বাগতিকদের ৬৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। স্টাম্পের বল লেগে উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন হেটমায়ার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দ্রুত গতির বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। দারুণ এক বলে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হেটমায়ার ফিরেন ৪২ বলে দুটি চারে ৩০ রান করে। ৩৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৭৩/৩। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী কাইরন পাওয়েল। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ১২৯ রান। তৃতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ রানের জুটি টানা তিনটি উইকেটে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল ৫৪ বলে। দ্বিতীয় উইকেট জুটির ফিফটি আসে ৬০ বলে। শেই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের তৃতীয় উইকেট জুটির রান পঞ্চাশে যায় ৬৫ বলে। ধীরে ধীরে রান সংগ্রহ যেন কঠিন হয়ে পড়ছে স্বাগতিকদের জন্য। ৩৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৬৩/২। হোপ ৪২ ও হেটমায়ার ২৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ১৩৯ রান। হোপকে জীবন দিলেন রুবেল আক্রমণে ফিরেই উইকেট পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে শেই হোপকে জীবন দিয়েছেন রুবেল হোসেন। প্রচুর ডট বল খেলা হোপ ঝটফট করছেন রানের জন্য। চেপে বসা ফাঁসটা আলগা করতে চেয়েছিলেন মিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়ে। টাইমিং হয়নি, ক্যাচ উঠে যায় এক্সট্রা কাভারে। লং অফ থেকে ছুটে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি রুবেল। সে সময় ৩৬ রানে ব্যাট করছিলেন হোপ। ৩২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৫৩/২। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ১৪৯ রান। বিপজ্জনক গেইলকে ফেরালেন রুবেল স্ট্রেইট বাউন্ডারি বেশ ছোট। তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাঁচটি ছক্কা তুলে নিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। রুবেল হোসেনের বলে চেষ্টা করেছিলেন আরেকটি ছক্কা হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার। সেই চেষ্টা সফল হয়নি। উল্টো গেইল ঝড় থামিয়েছেন রুবেল। লং অন দিয়ে রুবেলকে উড়াতে চেয়েছিলেন গেইল। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। ৬৬ বলে ৭৩ রান করে ফিরেন গেইল। এই ম্যাচের ৫ ছক্কা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ছক্কা হল ৪৭৬টি। স্পর্শ করলেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। ২২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০৬/২। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী শিমরন হেটমায়ার। দ্বিতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি প্রথম উইকেটের মতো দ্বিতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টপ অর্ডার বড় লক্ষ্য তাড়ায় কক্ষপথে রেখেছে স্বাগতিকদের। ৬০ বলে ফিফটি স্পর্শ করে ক্রিস গেইল ও শেই হোপের দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান। ২১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০৪/১। গেইল ৭৩ ও হোপ ১৩ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ১৯৮ রান। গেইলের ফিফটি বড় রান তাড়ায় দলকে পথ দেখাচ্ছেন ক্রিস গেইল। বিস্ফোরক এই ওপেনার পেয়েছেন সিরিজে নিজের প্রথম ফিফটি। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চশ স্পর্শ করেন গেইল। ৪০ বলে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি পাওয়ার পথে হাঁকান ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। ১৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৭৬/১। গেইল ৫০ ও শেই হোপ ৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ২২৬ রান।‘ লুইসকে ফেরালেন মাশরাফি দারুণ এক ডেলিভারিতে নড়বড়ে এভিন লুইসকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হেনেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভেঙেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে উঠা অফ কাটারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান লুইস। বাঁহাতি ওপেনার ৩৩ বলে করেন ১৩। সিরিজে এ নিয়ে তৃতীয় লুইসকে আউট করলেন মাশরাফি। ১০.১ ওভারে লুইস ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫৩/১। ক্রিজে ক্রিস গেইলের সঙ্গী শেই হোপ। পাওয়ার প্লেতে উইকেটশূন্য বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস স্বাগতিকদের এনে দিয়েছেন ভালো শুরু। দুই ওপেনারের শুরুটা দুই রকম। গেইল প্রথম থেকেই খেলছেন মাঝ ব্যাটে। এক-দুই করে এগিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে তুলে নিচ্ছেন বাউন্ডারি। ক্যারিয়ারের প্রথম হাজার রান ছোঁয়া লুইস সংগ্রাম করছেন মাঝ ব্যাটে খেলতে। গ্যাপ খুঁজে পাচ্ছেন কমই। পাওয়ার প্লেতে তার ব্যাট থেকে এসে মোটে একটি বাউন্ডারি। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫৩/০। গেইল ৩৫ ও লুইস ১৩ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ২৪৯ রান। জিততে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের সিরিজ জিততে রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ওয়ার্নার পার্কে প্রথম দল হিসেবে জিততে হবে তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। সেন্ট কিটসের এই মাঠে এর আগে সাতবার হয়েছে তিনশ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো দলই তিনশ ছুঁতে পারেনি। ওয়ার্নার পার্কে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড স্বাগতিকদের অধিকারে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৬৬ রান তাড়া করে ৪ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শেষটায় ঝড় তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিনশ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির পর অপরাজিত ফিফটিতে দলকে রেকর্ড গড়া সংগ্রহ এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬ উইকেটে ৩০১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৪৯ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে ৫ বলে ১১ রান নিয়ে দলকে তিনশ রানে নিয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন। ২০১২ সালে খুলনায় করা ২৯২ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ ছিল প্রথম ওয়ানডেতে করা ২৭৯। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০১/৬ (তামিম ১০৩, এনামুল ১০, সাকিব ৩৭, মুশফিক ১২, মাহমুদউল্লাহ ৬৭*, মাশরাফি ৩৬, সাব্বির ১২, মোসাদ্দেক ১১*; কট্রেল ১/৫৯, হোল্ডার ২/৫৫, বিশু ১/৪২, পল ০/৭৭, নার্স ২/৫৩, গেইল ০/১৪) ফিরে গেলেন সাব্বির দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান। ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। শেলডন কট্রেলকে টানা দুটি চার হাঁকিয়ে ফিরে যান সাব্বির। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করার চেষ্টায় ধরা পড়েন এভিন লুইসের হাতে। ৯ বলে ১২ রান করে ফিরেন সাব্বির। মাহমুদউল্লাহর ফিফটি কিমো পলকে ছক্কা হাঁকিয়ে সিরিজে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ছে বাংলাদেশ। ৪৪ বলে ফিফটিতে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের চতুর্থ ফিফটি। ঝড় তুলে ফিরে গেলেন মাশরাফি প্রমোশন পেয়ে ছয় নম্বরে নেমে ঝড় তুলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আশা জাগিয়েছেন তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহের। ২৫ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় মাশরাফি ফিরেন ৩৬ রান করে। তার ঝড়ের সবচেয়ে বড় অংশটা যায় জেসন হোল্ডারের ওপর দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কই শেষ পর্যন্ত ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। জায়গা করে নিয়ে হোল্ডারকে গ্লান্স করেছিলেন মাশরাফি। কিন্তু গ্যাপে খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে ক্রিস গেইলের কাছে। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৩/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সাব্বির রহমান। মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফি জুটির পঞ্চাশ ক্রিজে এসেই ঝড় তুলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছেন মাহমুদউল্লাহ। দুই জনের ব্যাটে পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৬ বলে আসে মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফি জুটির পঞ্চাশ। দুই জনের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ রানের আশা জাগিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফিরে গেলেন তামিম ডিপ স্কয়ার লেগে কোনো ফিল্ডার ছিলেন না, তাই সুযোগটা নিতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু পার করতে পারেননি স্কয়ার লেগ ফিল্ডারকে। বাঁহাতি ওপেনার ফিরে গেছেন কাইরন পাওয়েলের চমৎকার এক ক্যাচে। নিজের শেষ ওভারে আঘাত হেনেছেন চমৎকার বোলিং করা দেবেন্দ্র বিশু। লেগ স্পিনার মিডল স্টাম্পে থাকা বল ঠিক মতো স্লগ সুইপ করতে পারেননি তামিম। ১২৪ বলে ৭ চার ও দুই ছক্কায় ফিরে যান ১০৩ রান করে। তামিমের বিদায়ের সময় ৩৮.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক প্রমোশন পেয়ে ব্যাট করছেন ছয় নম্বরে। তামিম একাদশ সেঞ্চুরি সিরিজে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন তামিম ইকবাল। তার দারুণ ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অ্যাশলি নার্সের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারে একাদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি বাঁহাতি এই ওপেনারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১২০ বলে নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান তামিম। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার ও দুটি ছক্কা। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে দেবেন্দ্র বিশুকে হাঁকিয়েছিলেন নিজের দ্বিতীয় ছক্কা। ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৬/৩। তামিম ১০০ ও মাহমুদউল্লাহ ২৫ রানে ব্যাট করছেন। বোল্ড হয়ে ফিরলেন মুশফিক ক্রিজে আসার পর থেকে রানের জন্য ছটফট করছিলেন মুশফিকুর রহিম। ফিরে গেলেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টাতেই। অফ স্পিনার অ্যাশলি নার্সের মিডল স্টাম্পের বল শাফল করে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। স্পিন করে ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ফিরে যান বোল্ড হয়ে। এক ছক্কায় ১৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। ৩১.১ ওভার তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১৫২/৩। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে ১৬ ওভার স্থায়ী ৮১ রানের জুটি ভেঙেছেন অ্যাশলি নার্স। টার্নের বিপরীতে অফ স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ যায় কিমো পলের কাছে। তিনটি চারে ৪৪ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন সাকিব। তার বিদায়ে সময় ২৫.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১৬/২। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। তামিমের ফিফটি টেস্টে সিরিজে খুব একটা ভালো না করতে পারা তামিম ইকবাল নিজেকে মেলে ধরেছেন ওয়ানডে সিরিজে। তুলে নিয়েছেন আরেকটি ফিফটি। ৬৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তামিম। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার। ওয়ানডেতে বাঁহাতি ওপেনারের এটি ৪৩তম পঞ্চাশ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে করেছিলেন অপরাজিত ১৩০ রান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৪। এবারও তামিম ছাড়ালেন পঞ্চাশ। তামিম-সাকিব জুটির পঞ্চাশ উদ্বোধনী জুটির মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবালের সঙ্গে উপহার দিয়েছেন আরেকটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। দেবেন্দ্র বিশুকে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান তামিম। চলতি সিরিজে এটি দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের টানা তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। তৃতীয় উইকেটে এনিয়ে সপ্তমবার জুটি গড়েছেন তামিম-সাকিব। তার ছয়টিতেই দলকে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। পাওয়ার প্লেতে ৪২ ডট বল ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ। রান বের করার চেষ্টা ছিল তামিম ইকবালের। আগের ম্যাচে খেপাটে এক ইনিংস খেলা এনামুল হক এবার ছিলেন দৃষ্টিকটু মন্থর। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭/১। তামিম ইকবাল ২৩ ও সাকিব আল হাসান শূন্য রানে ব্যাট করছেন। এনামুল ৩১ বলে করেন মোটে ১০ রান। পাওয়ার প্লেতে দুই পেসার জেসন হোল্ডার ও শেলডন কট্রেল ২১টি করে মোট ৪২টি ডট বল খেলিয়েছেন। সিঙ্গেলস নিতে ভুগেছে বাংলাদেশ। বাউন্ডারিও এসেছে মোটে তিনটি। শর্ট বলে ফিরলেন এনামুল উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বল ভালোভাবে আসছে ব্যাটে। এমন উইকেটে মন্থর ব্যাটিংয়ে দলকে চাপে ফেলে বিদায় নিলেন এনামুল হক। জেসন হোল্ডারের শর্ট বল পুল করে উড়াতে চেয়েছিলেন এনামুল। টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ৩১ বলে তার ১০ রানের ইনিংস। এনামুলের বিদায়ের সময় ৯.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী সাকিব আল হাসান। উইন্ডিজ দলে দুই পরিবর্তন দুটি পরিবর্তন এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা পেসার আলজারি জোসেফ বাদ পড়েছেন। একাদশে জায়গা হারিয়েছেন জেসন মোহামেদ। দলে ফিরেছেন পেসার শেলডন কট্রেল ও ব্যাটসম্যান কাইরন পাওয়েল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: জেসন হোল্ডার, দেবেন্দ্র বিশু, ক্রিস গেইল, শিমরন হেটমায়ার, শেই হোপ, শেলডন কট্রেল, এভিন লুইস, অ্যাশলি নার্স, কিমো পল, কাইরান পাওয়েল, রোভম্যান পাওয়েল। অপরিবর্তিত বাংলাদেশের একাদশ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। টিকে গেছেন ওপেনার এনামুল হক ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। এ নিয়ে তৃতীয় দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে সব ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন ব্যাটিং। উইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় সিরিজ জয়ের হাতছানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এনিয়ে অষ্টম সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ায় প্রথম সিরিজ জিতেছিল তারা। ২০১২ সালে দেশের মাটিতে জিতেছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এবার মাশরাফি বিন মুর্তজার দল প্রথম ওয়ানডে জেতে ৪৮ রানে। পরের ম্যাচে ৩ রানের নাটকীয় জয়ে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে সাতটায়। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট সরাইল প্রতিনিধি, সময়নিউজবিডি নিউজটি শেয়ার করুন- সময়নিউজবিডি রিপোর্ট জীবনযুদ্ধের লড়াই করছেন আইয়ুব খানের জনসভা পণ্ড করে দেওয়া তুখোর ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান খান মিল্কী ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা হিসাবে তরুণ বয়সে বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর আহবানেই লেগে গেলেন দেশ গড়ার কাজে, সেই থেকে শুরু। যৌবন পেরিয়ে জীবনের শেষ অবধি যিনি কেবল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন, দেশমাতৃকার সেই অকুতোভয় সৈনিক আজ জীবনযুদ্ধের লড়াই করছেন। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজিত আলোচনা সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অভিযাত্রা শীর্ষক আলোচনার সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৬৬ সালে জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ে নিযুক্ত হন। শাহরিয়ার রশিদসহ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তারা দেশের জন্য নয়, আইএসআইয়ের মিশন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মিশন ছিল যদি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় তা কিভাবে রদ করা যায়। তিনি আরো বলেন, ওই নীল নকশা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের পর থেকে পাকিস্তানিকরণ, মৌলবাদীকরণসহ সবই আরম্ভ হয়েছে। বিএনপিকে মধ্যপন্থা দল দাবি করে শাহরিয়ার কবির বলেন, তারা জামায়াতের সাথে ঘর করতে করতে তাদের ভাষাও এক হয়ে গেছে। এখন তাদের আলাদা করা যাচ্ছে না। যখন ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন আছে তাহলে কিভাবে তার উপর আস্থা রাখা যায়? শহীদদের সংখ্যা নিয়ে তো প্রশ্ন করে পাকিস্তানীরা। বেগম জিয়া পাকিস্তানীদের সাথে সুর মিলিয়ে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, তারা (বিএনপি) জানে নির্বাচনে জয়ী হবে না। তাই তারা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিবে। তারা গৃহযুদ্ধের পথ বেছে নিবে। এই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।
02de4304-a542-4503-ac36-48e372a1b89f
সময়নিউজবিডি রিপোর্ট এবারের নির্বাচনকে নিজের জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করে জনতার কাছে ভোট ভিক্ষা চাইলেন সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পথসভায় সাবেক মেয়র নগরবাসীর কাছে তাকে আরেকবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করার অনুরোধ করেন। নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার কদমতলী পথসভায় কান্না জড়ানো কণ্ঠে কামরান বলেন, “এই কামরানকে আপনারা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। বড় করেছেন, নেতা বানিয়েছেন। ২০০৮ সালে যখন আমি কুমিল্লা কারাগারে বন্দি ছিলাম। তখনও আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাই আজ আবার আপনাদের কাছে এলাম। “আমাকে আপনারা তাড়িয়ে দিবেন না। আমার মা-বাবা নেই। আপনারাই আমার মা-বাবা। আপনারা আমাকে তাড়িয়ে দিলে আমি কোথায় যাব। আমি কখনো আপনাদের সঙ্গে বেঈমানি করি নাই। সেই অধিকার থেকেই আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইছি। “আমার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে গেছে। এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন। আর হয়তো আসবো না। আপনাদের কাছে শেষবারের মতো ভোট ভিক্ষা চাইছি। আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। শেষবারের মতো আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে মেয়র হওয়ার সুযোগ দিন।” কামরান অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে বিএনপিপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নাটক করছেন। নির্বাচনে আরিফুল তার চেয়েও বেশি সুযোগ পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দুপুরে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার এলাকা থেকে প্রচারণা শুরু করেন কামরান। বিকাল ৩টায় কাজীর বাজার এলাকায় পথসভা করেন। সেখান থেকে মির্জা জাঙ্গাল এলাকার একটি পথসভায় যান কামরান। সেখানে ইসলামী ঐক্যজোটের একটি অংশের প্রধান মেসবাহুর রহমান চৌধুরী নির্বাচনে কামরান আহমেদকে সমর্থন অনুষ্ঠানে যান। পরে সন্ধ্যায় কদমতলী এলাকায় পথসভায় ভাষণ দেন। রাতে কিন ব্রিজের গোড়ায় চাঁদনিঘাট এলাকায় শেষ পথসভায় ভাষণে ভোটারদের কাছে ভোট চান তিনি। কিছুদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন সিলেটে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। তারপরও জনগণের রায় তার পক্ষেই থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। শনিবার বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে প্রচার-প্রচারণার শেষ পথসভায় আরিফুল তার এ আশার কথা জানান। আরিফুল বলেন, ‘‘সিলেট নগরের মানুষের প্রতি আমার অগাধ আস্থা। তারা যে কাউকে যেমন বুকে টেনে নিতে পারেন তেমনি আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে দিতে পারেন। “গত পাঁচ বছর আমার ওপর যে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে এবং আমার কর্মীদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার বিচারের ভার আমি নগরবাসীর ওপরই ছেড়ে দিলাম।’’ তিনি বলেন, “কোনো ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। সিলেটের মানুষ অন্যায় সহ্য করে না। মানুষ ষড়যন্ত্রের বিষয় টের পেলে ষড়যন্ত্রকারীরা পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’’ সকাল ১১টায় নগরীর ঝেরঝেরিপাড়া এবং মিরাবাজার আবাসিক এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন আরিফুল। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটে মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে লোকজন এসে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। একের পর এক মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। তবুও জনগণের উপর আমার পুর্ণ আস্থা আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে রায় আমার পক্ষেই আসবে। দুপুরে আরিফুল হক চৌধুরী দরগাহ মাদরাসায় আলেম উলামা এবং মাদরাসার ছাত্রদের সাথে একটি মতবিনিময় যোগ দেন। বিকেল সাড়ে তিন টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের শেষ পথসভা করেন আরিফুল। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট মাদকের মামলায় আটক আসামিদের জন্য আলাদা বিশেষ কারাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। রোববার রাজধানীতে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই বিশেষ কারাগার স্থাপনের প্রস্তাব দেন তিনি। র্যাবপ্রধান বলেন, “আমার মনে হয় স্পেশাল জেল করতে হবে। সেটা টেম্পোরারি হোক আর যাই হোক। কারণ মাদকের আসামিদের আলাদা জেলে নিতে হবে। “বঙ্গোপসাগরে একটা দ্বীপ আইডেন্টিফাই করা যেতে পারে বা বিচ্ছিন্ন কোনো এলাকা..যেখানে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ আসামি রাখা যাবে। এ ব্যবস্থা করা দরকার।” মাদকের মামলার দ্রুত বিচারের ওপরও জোর দেন তিনি। হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনরোধে প্রণীত অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় প্রতি রাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ নিহত হওয়ার খবর দিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এসব ঘটনায়। র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৫ জন নিহত এবং ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান বেনজীর আহমেদ। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান একটি সার্বিক সংগ্রাম উল্লেখ করে বেনজীর বলেন, “আমাদের দেশে মুশকিল হচ্ছে যে, কোনো কিছু শুরু এক শ্রেণির মানুষ চিৎকার শুরু করে। তারা কেন এটা করে আমি জানি না। এটা করে তারা কি পেতে চায়? “জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ও রাতের পর রাত টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দিয়ে তারা আলোচনা করেছিল যে, আমরা ভুল করছি, কিছুই জানিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তিনি দেশবাসীকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে যখনই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রত্যেকবার ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “এখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য- আমরা শুরু করেছি এবং তখনই আমরা বিভিন্ন ধরনের চিৎকার দেখেছি।চিৎকার করে লাভ নেই- আমরা বিজয়ী না হয়ে ফিরব না। এটি ১৬ কোটি মানুষের ডিমান্ড। সরকার, রাষ্ট্রের ও জনগণের ডিমান্ড।” মাদকের ভয়াবহতা রোধে প্রয়োজনে কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ক্যাম্প স্থাপন করা হবে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহম্মদ নিজেদেরর জনবলের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ বলেন, সারা দেশে সাড়ে ৪০০ অপারেশনাল ফোর্সসহ মোট জনবল প্রায় ১৭০০। আর যানবাহন রয়েছে ৫১টি। তবে সরকার আরও ৫০টি যানবাহন এবং জনবল আট হাজারে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি। ইনাম/সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ডটকম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রহমত উল্লাহ্ (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র ১১ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত ১৯ জুলাই নিখোঁজ হওয়া রহমত সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে। সে একই ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের জামিয়া সুন্নাহ্ মাদ্রাসার ছাত্র। এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই রহমত উল্লাহ্ এর বাবা জালাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই সকাল ৯টায় নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয় রহমত। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গাতেই তার খোঁজ করেও কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) হাবিবুর রহমান বলেন, রহমতের সন্ধান পেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নাসিরনগর সংবাদদাতা,সময়নিউজবিডি  জেলা আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, পলাতক আসামি আবুল হাশেম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার সব শিক্ষার্থীদের বছর শুরুর প্রথম দিনে তথা শিক্ষাবর্ষের শুরুর দিনে বিনামূল্যে সরকারি বই দিয়ে বিশ্বে নজির গড়েছেন। অন্যান্য সব শিক্ষা ব্যবস্থার মত ক্বওমী শিক্ষা ব্যবস্থাকেও একটি নীতিমালায় আনা হচ্ছে। ক্বওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এদেশের কোন না কোন মায়ের সন্তান। তারা সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত ধার্মিক। তাই তিনি ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা ও ক্বওমী শিক্ষার্থীদের প্রতি সু-নজর রাখছেন। ইতোমধ্যে ক্বওমী শিক্ষার জন্য সরকারের সহযোগিতায় ক্বওমী শিক্ষায় অভিজ্ঞ ও ক্বওমী শিক্ষকদের দিয়েই তাদের জন্য ক্বওমী শিক্ষা বোর্ড গঠন, কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়নের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আরাকান সেনাদের নির্যাতন ও নিপীড়নের হাত থেকে বাচঁতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছে। রোহিঙ্গা মোসলমানদের হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার খবরে মিয়ানমার সরকার ও তাদের সেনাদের নিয়ে বিশ্ব ব্যাপী সমালোচনা চলছে; পাশাপাশি মানবিক কারনে বিপুল সংখ্যক অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের সামনে উদারতা ও মানবিকতায় বাংলাদেশ ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আর তাইতো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব দরবারে মানবতার মাতা (মাদার আব হিউমেনিটি) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, এর জন্য প্রধান মন্ত্রী পেয়েছেন সম্মাননা পদক। এসময়, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জন কেনেডি জাম্বিল, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, শেরপুর খামার বাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আলতাব আলী, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর, নকলা থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এফ.এম কামরুল আলম রঞ্জু ও রেজাউল করিম রিপনসহ উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং ওয়ার্ড থেকে আগত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের তথ্য মতে, মন্ত্রী দুইদিনের এই সফরে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির সেরা ২০ জন করে শিক্ষার্থীর মধ্যে এবং ক্বাওমী, হাফেজিয়া ও নুরানী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট ৪ হাজার ৬৮০টি সৌরবাতি বিতরণ করবেন। এরমধ্যে ১৪১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৮২০ জন ও ২০ টি ইবতেদায়ী মাদরাসার ৪০০ জন দ্বিতীয় শ্রেণির টপ টুয়েন্টি শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং ক্বওমী, হাফেজিয়া ও নূরানীয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার ৪৬০ টি। বিতরণের জন্য নির্ধারিত সৌরবাতি গুলোর মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের জন্য ৪৮০টি, নকলা ইউনিয়নের জন্য ৩২০টি, উরফা ইউনিয়নের জন্য ৪৬০টি, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের জন্য ২০০টি, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের জন্য ৪৬০টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নের জন্য ৩৮০টি, টালকী ইউনিয়নের জন্য ৩৫০টি, অষ্টধর ইউনিয়নের জন্য ৩৫০টি, চন্দ্রকোণা ইউনিয়নের জন্য ৫৮০টি এবং পৌরসভার জন্য এক হাজার ১০০টি সৌরবাতি প্রাপ্যতা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। রোববার বিকাল সোয়া চারটায় বিবিরচর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে টালকী ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৫০ টি সৌরবাতি বিতরণের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী সৌরবাতি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৫০টি সৌরবাতি বিতরণ করা হয়। বাকি ৫ ইউনিয়নে ২ হাজার ২৩০ টি সৌরবাতি ৩০ জুলাই সোমবার দিনব্যাপী বিতরণ করা হবে বলে সূত্রে জানাগেছে। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত জিয়াউল হক জানান, ঘটনাটি আমরা শুুুনেছি। খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট সুষম উন্নয়নের স্বার্থে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পশিমাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ এসেছে এক আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই সুপারিশ করেন অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, অবকাঠামোগত সুবিধার কারণেই চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার আশপাশে অধিকাংশ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাদ পড়ে যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধার আওতায় থাকা উত্তরাঞ্চল। “পিছিয়ে পড়া এলাকায় প্রয়োজনে বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।” সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনকে অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশটি প্রথমে শেনঝেন কিংবা এধরনের উপকূলবর্তী এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপন শুরু করে। পরে তারা ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল বা মূল ভূখণ্ডের দিকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে থাকে।” চীন সফল হলেও গত দুই দশকে ভারতসহ অনেক দেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেও ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। “বিশ্বে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে লাভবান হয়েছে খুব কম দেশ। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বিশেষ সুবিধা, যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের ব্যর্থতার কারণগুলোকে খুঁজে বের করে কাজে লাগানো যাবে।” সরকার ইতোমধ্যে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে তাতে বিনিয়োগ করতে বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। সুষম অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা তুলে ধরে রাজ্জাক বলেন, যেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল তুলনামূলক কম ওই সব এলাকার শ্রমিকদের মধ্যে বেকারত্ব বেশি। তাই অপেক্ষাকৃত কম মজুরিতেও সেখানে শ্রমিক পাওয়া যাবে। “আর কম মজুরি পেয়ে শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। কারণ তারা নিজ এলাকা থেকে সুদূর ঢাকা চট্টগ্রামে পাড়ি জমিয়ে যা আয় করেন, তা থাকা খাওয়াতেই খরচ হয়ে যায়। এলাকায় বসে কম আয় করলেও কিছু সঞ্চয় তাদের থাকে।” বর্তমানে যেসব ইপিজেড রয়েছে, সেখানে অবকাঠামো ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও দেন তিনি। “এই বিষয়টি এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে। এসব অঞ্চল ফেলে রাখা আবার নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা সাংঘর্ষিক কাজ। ইউকেএইড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বাজেট অ্যান্ড পলিসি এবং এশিয়া ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বেজার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। বেজার নির্বাহী সদস্য মো. এমদাদুল হক বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ যখন শুরু করা হয়েছিল, তখন কোনো এলাকাতেই কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। শুরুর দিকে কাজগুলো অনেক কঠিন ছিল। এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয় মোট ৯৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি রয়েছে বেসরকারি অঞ্চল। ভবিষ্যতে বেজার উদ্যোগগুলোকে কার্যকর করতে বেসরকারি খাত, গবেষণা সংস্থা ও অন্যান্য মহলের পরামর্শ কাজে লাগানো হবে বলেও জানান এমদাদ। এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সারা এল টেইলর অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। আমি পায়েল বলছি। সাঈদুর রহমান পায়েল। অন্য সবার মতো আমারও চোখে স্বপ্ন ছিল। মনে আশা ছিল। মাত্র কিশোর থেকে তারুণ্যে পা দিয়েছিলাম। পুরো জীবনটাই সামনে পড়েছিল। কিন্তু কি হলো? একদল শকুন আমাকে খুবলে খেয়েছে। ওরা উল্লাস করছে। আমি চেয়ে চেয়ে দেখেছি। জানিনা ওদের কাছে আমি কি অন্যায় করেছিলাম? কি অপরাধ করেছিলাম? না কোনো উত্তর নেই। শকুনের দল কোনো উত্তর দিতে পারবে না। কিন্তু আমার জীবনের এ অল্প সময়ে কি দেখেছি আজ আপনাদের জানাতে চাই। আমি দেখেছি নির্দয় এক পৃথিবী। এমন পৃথিবীর প্রতি বর্ষন করছি ঘৃণা। যেখানে ভালোবাসা মূল্যহীন। প্রেম যেখানে ছলনা। আদর সোহাগ যেখানে কৃত্রিমতা। আকুতি যেখানে বৃথা। স্বার্থপররা যেখানে বাসা বেঁধেছে শক্ত খুঁটি গেড়ে। আমি শকুনদের উল্লাস দেখেছি আর আফসোস হয়েছে। যারা আমার স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করেছে। যারা আমার ইচ্ছাকে পিষে মেরেছে। অথচ আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম আরও কিছুদিন। সুন্দর পৃথিবীতে ভালবাসা বিলিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে যাদের স্বপ্ন ছিল তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম। কি অভাগা আমি। তা আর হলো না। শকুনের খপ্পরে পড়ে প্রাণসহ সবই বিলিয়ে দিতে হয়েছে। জানেন, এ দেশকে কিছু দেওয়ার ইচ্ছা নিয়েই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার জীবনের সুখ-দুখের বহু কাহিনী আছে। সেসব বলতে চাই না। আমি চাই জীবনের শেষদিনের কথা আপনাদের জানাতে। গত ২১শে জুলাই, দিনটি ছিল শনিবার। দুই বন্ধু ও আমি হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলাম। বাস নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ব-৯৬৮৭। ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় গাড়িটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ভোর চারটায় গজারিয়া ভাটের চর ব্রিজের কাছে প্রচ- জ্যাম দেখতে পাই। এ সুযোগে আমি প্রস্রাব করতে নামি। দেখি গাড়িটি আস্তে আস্তে চলছে। আমি দৌড়ে গাড়িতে উঠতে গিয়ে মাথায় আঘাত পাই। বাসের চালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সাল সহযোগিতার বদলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই শকুনরা আমার উপর চালায় নির্মম অত্যাচার। এক পর্যায়ে নদীতে ফেলে দেয়। পৃথিবী থেকে আমার নাম নিশানা মুছে দেয় ওরা। আমার বুকে জমানো স্বপ্নগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। মা-বাবা হন সন্তানহারা। যে সন্তানকে নিয়ে তারা আগামীদিনগুলো নতুন করে সাজাচ্ছিলেন। যাক সেসব কথা। গভীর রাত হওয়ায় বাসের যাত্রীরা ছিলেন ঘুমে বিভোর। ২৩শে জুলাই সকালে গজারিয়ার ফুলদি নদীতে ভেসে ওঠে আমার মরদেহ। পুলিশ আসে। আসে লোকজন। সবাই দেখতে পায় আমার নাক-মুখ থেঁতলানো। শরীরে রক্ত। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধরেও নেয়। ২৪শে জুলাই পুলিশের সহযোগিতায় গজারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আমার মামা গোলাম সারোওয়ার্দী বিপ্লব। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। গ্রেপ্তার করা হয় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে। ইতিমধ্যে সুপারভাইজার জনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে। এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম সংবাদ সম্মেলন করেন। দেশবাসী জানতে পারে একদল শকুনের কথা। কিন্তু এখানেই কি শেষ? মানবজাতি হিসেবে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। এই কি আমাদের বিবেক। আমি পায়েল শুধু নয়, কত পায়েল নির্দয় এ পৃথিবীতে শকুনদের খপ্পরে পড়ে অকালে জীবন দিতে হচ্ছে। আর শকুনরা করছে উল্লাস। এ থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো পথ বুঝি নেই পৃথিবীতে। পৃথিবীর বিচার ব্যবস্থায় হয়তো এর বিচার হবে। হয়তোবা হবে না। কিন্তু পরপারে? সেখানকার বিচারতো কেউ ঠেকাতে পারবে না। ইনাম /সময়নিউজবিডি ডটকম। বৃদ্ধ মানুষের পায়ের নখ খুব শক্ত থাকে। কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর নরম হলে নখ কাটতে সুবিধা হয়। তাতে বড় নখের কারণে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কদিন যাবত এ কথাটা বারবার মনে পড়ছিল। মনে পড়ছিল আমার বাবার পায়ের নখের কথা। বারবার ভাবছিলাম এবার বাড়ীতে যেয়ে নিজ হাতে বাবার পায়ের নখগুলো কেটে দিব। তাহলে বাবা নামাজ পড়তে যাবার জন্য হাঁটার সময় বড় নখের জন্য আর হোঁচট খাবেন না। বাবার নখ কাটার পরিকল্পনাটা ছোট মেয়েকে শেয়ার করলাম। সে বললো আমিও দাদুর নরম সারা শরীর ধরবো, দাড়িতে হাত বুলিয়ে দিব। শুনে খুব খুশি হলাম যে আমার শরীরে থাকা বাবার জীন আমার সন্তানকেও প্রভাবিত করেছে। মুহুর্তেই সবার মুখগুলো ছোট হয়ে আসলো। আমি জানি থানায় ফেরত গেলেও খুব বেশি কিছু করতে পারবোনা। তবু আমি গেলে অভিভাবক হিসেবে সবাই একটু সাহস পাবে। তাই ওখান থেকেই থানায় ফেরত আসার সিদ্ধান্ত নিতে হল। স্ত্রী সন্তানদের কোনরকম বাড়িতে পৌঁছতেই দূর থেকে দেখলাম আমার বাবা মাসহ সবাই রাস্তায় অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে। এতদিন পর ছেলে নাতিরা এসেছে খুশি আর ধরে কই ? কে কি দিবে তা নিয়ে কাড়াকাড়ি। কিন্তু আমাদের নীরবতা দেখে মুহুর্তেই সবার মুখ মলিন হয়ে গেল। সাবেক পুলিশ অফিসার হিসেবে আমার বাবা খুব দ্রুতই সব বুঝে গেলেন।
35c15e6d-c4ca-474d-8797-9f3430a922d8
সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সালাউদ্দিন সালেহীন তাদেরই একজন। ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর পর সালাউদ্দিন সালেহীনের এই ছবিটি পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হয়। জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শুরা সদস্য সালেহীনকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে বাংলাদেশের পুলিশ। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাকে রেখেছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীদের তালিকায়। সেখানে হাফিজুর রহমান শেখ ওরফে মাহিন নামেও সে নিজেকে পরিচিত করেছে বিভিন্ন সময়ে। বলা হচ্ছে, এই সালেহীনই ত্রিশালে পুলিশ ভ্যান থেকে পালানো আরেক জঙ্গি জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে জেএমবির নতুন শাখা খুলেছেন, যার নাম তারা দিয়েছেন জামায়াতুল মুজাহিদিন ইনডিয়া-জেএমআই। বিহারের বুদ্ধ গয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের মামলার আসামি বোমা মিজান গত ৬ অগাস্ট বেঙ্গালুরুতে এনআইএ- এর এক অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দারাও এখনও সালেহীনের সন্ধান পাননি। দেশজুড়ে জেএমবির বোমা হামলার ১৩ বছর পূর্তির দিন শুক্রবার সংগঠনটির বর্তমান তৎপরতা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জেএমবির এই পুরনো অংশের অনেকেই ভারতে ও বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের শক্তি আর আগের মত নেই। এই জঙ্গি দলের পুরনো অংশের নেতা সালেহীন ভারতেই লুকিয়ে আছে বলে আমাদের ধারণা। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে জেএমবি আরও দুর্বল হয়ে যাবে।” ভারতের এনআইএ-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় সালেহীন জেএমবি থেকে নব্য জেএমবি দীর্ঘ দিনের তদন্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শতকের শেষভাগে জেএমবি নামের সংগঠনটি জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে। তিনি ও তার কয়েকজন সহযোগী আফগানিস্তানে যুদ্ধেও অংশ নেন। তিনি আফগানিস্তান থেকে ফিরলে জেএমবির কর্মকাণ্ড বিস্তৃতি পেতে থাকে। তবে তাদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০০৩ সালের শুরুর দিকে। ওই বছর দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার কয়েকজন জঙ্গির কাছে এ সংগঠন সম্পর্কে তথ্য পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে শায়খ আবদুর রহমানের পরামর্শে জেএমবির শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ বা জেএমজেবি গঠিত হয়। ২০০৪ সালে সংগঠনটি বেপরোয়া হয়ে উঠে। রাজশাহীর বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাই-রানীনগর ছিল তাদের বিচরণক্ষেত্র। ২০০৪ সালের ২০ মে নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলায় ইদ্রিস আলী ওরফে খেঁজুর আলী ও আব্দুল কাইয়ুম বাদশাকে হত্যা করে বাংলা ভাই ও তার সহযোগীরা। এরপর বাদশার মরদেহ উল্টো করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং খেজুর আলীকে টুকরো টুকরো করে লাশ পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে। গাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখার সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে দেশজুড়ে রাতারাতি পরিচিত হয়ে ওঠে ‘বাংলা ভাই’ নামটি। ২০০৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সরকার জেএমবি ও জেএমজেবির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে ওই বছর ১৭ অগাস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা ফাটিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ২০০৬ সালের ৬ মার্চ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে বাংলা ভাইকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। এর চারদিন আগে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শায়খ রহমানকে। ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা ফাটিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় জেএমবি ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যার দায়ে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ছয় শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর। সেদিন দেশের ৩০০ স্থানে ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। তাদের হামলায় দুজন নিহত হন, আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেই হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত সাজা হয়েছে ৩৩৪ জনের; বিচারাধীন ৫২টি মামলায় আরও ৩৮৬ জন আসামি রয়েছেন। এরপর সংগঠনটির কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলেও ২০১৩ সালের পর একের পর এক হামলায় লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, পুরোহিত, যাজক, ভিন্নমতাবলম্বীরা জঙ্গি হামলায় নিহত হতে থাকে, তার মধ্যেই ফিরে আসে জেএমবির নাম। তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার মধ্যেই ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনের নিহত হওয়ার সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, ভেঙে পড়া জেএমবি কয়েকটি ধারায় ভাগ হওয়ার পর তারই একটি অংশ ‘নব্য জেএমবি’ নামে সক্রিয় হয়ে দেশজুড়ে ওই ত্রাস সৃষ্টি করে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সে সময় বলেন, ২০১৩ সালে তামিম চৌধুরী এবং দিনাজপুরের সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. আবুল কাশেমের চেষ্টায় বাংলাদেশে নব্য-জেএমবির জঙ্গিবাদি কার্যক্রমের সূচনা হয়। গুলশান হামলার পর দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে তামিম চৌধুরীসহ নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নিহত হন, অনেকে ধরা পড়েন। সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, “তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে যখন নব্য জেএমবি গঠন করা হয়, পুরনো জেএমবির অনেকেই তাতে যোগ দেয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এখন নব্য জেএমবিও দুর্বল হয়ে পড়েছে।” এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নব্য জেএমবি অনেকটা কোনঠাসা হয়ে এলেও এই সময়ে পুরনো জেএমবির সদস্যরা ধরা পড়েছে কম। “তাদের অনেকে ভারতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে ভারতীয় পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে সালেহীনও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।” ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাউদ্দিন সালেহীনের এই ছবিটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কে এই সালেহীন জেএমবির শুরুর দিকের শুরা সদস্য এই সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি নারায়ণগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে। দেশের বিভিন্ন থানায় সালেহীনের বিরুদ্ধে ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ মামলায় তার সাজার রায় হয়েছে, এর তিনটিই হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। ১৯৯৭ সালে বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল থেকে পাস করে সালেহীন ভর্তি হন ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। তখন তিনি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী। ওই সময় থেকেই পরিবার থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে থাকেন, এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিবাদে। ২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিম্ন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সালেহীন নিজের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এর মধ্যে দিয়ে জেএমবির সূচনা এবং এর বিস্তার সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট একটি ধারণা পায় পুলিশ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সালেহীন বলেন, “১৯৯৯ সালে বেনামে বাসাবোর কদমতলায় একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। শায়খ আব্দুর রহমান, আমি, হাফেজ মাসুদ, শাহেদ ও রানা প্রথম মজলিসে শুরার সদস্য হই। পরে শাহেদ ও রানা দল ত্যাগ করলে সেখানে অন্য দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০১ সালে এই সংগঠনটি কাঠামো দিয়ে নাম রাখা হয় ‘জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’। সালেহীন আদালতে বলেন, ২০০১ সালের পর কাজের সুবিধার্থে সারা দেশকে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। তিনি পান ঢাকার উত্তর অঞ্চল তথা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জের দায়িত্ব। পরে ২০০২ সালে সিলেটের দায়িত্বও তাকে দেয়া হয়। ওই সময় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার সানা কৈর গ্রামে হৃদয় রায় নামে এক তরুণকে হত্যা করেন সালেহীন ও তার সহযোগীরা। বরিশালের ছেলে হৃদয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে একটি মিশনের হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিনয় করে যিশুর জীবনকাহিনী তুলে ধরতেন- এটাই ছিল তার ‘অপরাধ’। ওই মামলায় ২০১৩ সালে হাই কোর্টের রায়ে সালেহীনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। গনি গোমেজ নামে আরেক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে হত্যার দায়ে হাই কোর্ট সালেহীনসহ দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় একই বছর। আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলেও তার বিরুদ্ধে আপিল করেননি সালেহীন। বরং তিনি দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সালাউদ্দিন সালেহীনসহ তিন জঙ্গিকে মুক্তাগাছা থানার ২০০৬ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলায় শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে সালেহীনসহ তিন জঙ্গিকে নিয়ে ময়মনসিংহের আদালতে যাওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিশালে জঙ্গিদের হামলার মুখে পড়ে একটি প্রিজন ভ্যান। ওই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জেএমবির জঙ্গিরা। বাকি দুজন হলেন মৃত্যুদণ্ডের আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ এবং যাবজ্জীবনের আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান। পালানোর পথে ওইদিনই মির্জাপুরে গ্রেপ্তার হন রাকিবুল হাসান। পরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনের কোনো খোঁজ না পেয়ে বাংলাদেশের পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ওই বছরের অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পর এর সঙ্গে জেএমবির নাম জোরেশোরে উচ্চরিত হতে থাকে। তখনই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মিজান আর সালেহীনের খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেন। বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গেও তারা তথ্য বিনিময় করেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সালেহীন ও মিজান ভারতে জামায়াতুল মুজাহিদিন ইনডিয়া-জেএমআই নামে জঙ্গি কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। সংগঠনের কথিত মিডিয়া উইং শাম আল হিন্দে প্রকাশিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছেন জেএমআইয়ের আমির হিসেবে। ওই সাক্ষাৎকার থেকে সালেহীনকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারত যাতে হিজরত আর জিহাদের একটি কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি, যাতে ভারতের মানুষ নতুন খিলাফতের ভিত্তি গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” সূূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সরাইলে প্রাণনাশের উদ্দ্যেশে এক ব্যক্তির চোখ তুলে নিল সন্ত্রাসীরা।। মামলার এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামী সরাইল প্রতিনিধি, সময়নিউজবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে প্রাণনাশের উদ্দ্যেশে সুমন নামে এক ব্যক্তির চোখ তুলে নিল সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং- ২০, তারিখ-১৮/০৭/১৮ ইং। পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, সুমন একজন রাজমিস্ত্রী । সে একই এলাকার শিরিন বেগমের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিীর কাজ করতে ছিলেন। এসময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জিল্লু মিয়া তার দলবল নিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দ্যেশে এলোপাথারি মারধর করে এবং বল্লম দিয়ে সুমনের ডান চোখে আঘাত করলে ডান চোখটি উঠে যায়, তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত সুমনের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী রিনা বেগম জনান, সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দিচ্ছে , মামলা তুলে না নিলে আমার সন্তানদেরকে মেরে লাশ গুম করিয়া বাড়িতে আগুন দিয়া জ্বালাইয়া পুড়াইয়া দিবে। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের এক হলেও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে আসামীরা চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের রহস্যজনক কারনে গ্রেপ্তার করছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূইয়া এ প্রতিবেদককে জানান, এধরনের ঘটনা তার জানা নেই। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট উক্ত সূত্র বলছে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি থাকাকালীন শুধু মাত্র শেয়ার বাজার থেকেই ৫০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। সোনালী ব্যাংক থেকে ২’শ কোটি টাকার ঋণ তুলে তা আর ফেরত দেন নি। সঙ্গে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের জোনাল চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ৩’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যথাক্রমে দুইশত কোটি টাকা গায়েব করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মূলত এসব কারণেই দুদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তলব করেছে বলে জানা যায়। এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আমীর খসরু সাহেব যে সব সরকারি দায়িত্বে ছিলেন, তার প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই বিপুল পরিমানে অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন। সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচারও করেছেন। যার ভিত্তিতে আগামী ২৮ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদকে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুদক থেকে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আমীর খসরুকে দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিন তাকে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। নিজের দুর্নীতির খবর দুদকের জানাজানি হবার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক নেতা কর্মীরা। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট যেকোনও বার্ষিকী, তা আনন্দের হোক আর বেদনার হোক; আমাদের সেইসব ঘটনা আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়, একসময় আমরা যাদের চিনতাম। প্রতি বছর যখন এইসব দিন আসে, আমরা মনে করার চেষ্টা করি কী ঘটেছিল সেই দিন। কখনও কখনও আমরা অতীত খুঁড়ে বিস্তৃতভাবে ঘটনা বিশ্লেষণ না করে সংক্ষিপ্তভাবে তা স্মরণ করি আর আমাদের ভাবনা অব্যাহত রাখি। আবার এমন সময় আসে, যখন আমরা বিরতিতে থাকি। অতীতের ঘটনা নিয়ে গভীর বিবেচনার স্বার্থেই আমাদের থামতে হয়। আমরা তখন ভাবনা জমা করতে থাকি, মূল্যায়ন করতে থাকি। একজন লেখকের ক্ষেত্রে এটাই হলো যথাযথ কর্মপ্রক্রিয়া। অতীতে কী ঘটেছিল তা নিয়ে ভাবনা জারি রাখা আর এর পুনর্মূল্যায়ন করা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার ক্ষেত্রে তেমনই একটা দিন। আগে একবার আমি বলেছিলাম, ১৫ আগস্ট উইলিয়াম ফকনারের এক উক্তিকে মনে করিয়ে দেয়। তা হলো অতীতের মৃত্যু হয় না কখনও, এমনকি অতীত বলে কিছু নেই। বছরের পর বছর আমি থেমে ছিলাম। অতীতকে স্মরণ করার চেষ্টায় রত ছিলাম। আর তারপর যখন সেইসব স্মৃতিরা ফিরতে শুরু করে তখন আমি অন্যান্য কাজকর্মে লিপ্ত হই। যাহোক, থেমে থাকার পর এই বছর আমি একটি পুরনো ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই ইতিহাস কেবল বাঙালিদের নয়, আমার মতো আমেরিকানদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকায় অনেক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। একটি ঘটনাক্রমের ধারাবাহিকতায় এসব হত্যাকাণ্ড সম্ভব হয়ে উঠেছিল। সেসব হত্যাকাণ্ডে কেবল কি বাংলাদেশিরাই জড়িত ছিলেন? নাকি তাদের উৎসাহিত করা হয়েছিল, এমনকি হত্যার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল? বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্র, দুই দেশেই এমন কিছু মানুষ আছেন যারা হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর বিপক্ষে। তারা মনে করেন, এই ধারার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় নেওয়া উচিত। আজ আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সহিংসতার কথা স্মরণ করছি। ঘটনার এতগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই বছরের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর (জেলহত্যা দিবস) সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে আমাদের বোঝাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে। আমাদের হাতে প্রচুর জিনিস এখন রয়েছে। এমনকি নতুন তথ্যও রয়েছে। সম্ভবত এর মধ্য দিয়ে অতীতের ওই ঘটনার বোঝাপড়ায় আমরা নতুন দিশা পাবো এবং আমাদের বোঝাপড়ার পরিসর বিস্তৃত হবে। কিছু দিন আগে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে আমি এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সম্পর্কে ভাবছিলাম আমি। ভাগ্য ভালো যে আমরা দুইজনই জীবিত আছি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে তার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল আমার। আমার পাশে বসে ধীরস্থিরভাবে তিনি আমাকে জানালেন, আমাকে তার জরুরি কিছু বলার আছে। এই একটা কথাই তিনি আমাকে বলেছিলেন, তবে সে সময় তিনি খুব গম্ভীর ছিলেন। আমরা একে অপরকে চিনতাম। তবে খুব বেশি জানাশোনা ছিল না আমাদের পরস্পরের সম্পর্কে। তবে তার দুর্দান্ত এক সাহসী কর্মকাণ্ডের কথা জানতাম আমি। একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে তিনি যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন সেজন্য আমি তাকে শ্রদ্ধা করতাম। সেদিন সন্ধ্যায় আমি ঢাকাতে তার বাড়িতে ছিলাম। পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। আমাকে এক জমায়েতে আমন্ত্রণ জানালেন। সেখানে অনেক ভিড় ছিল, একান্ত আলাপ করাটা ছিল দুঃসাধ্য। পরদিন সন্ধ্যায় সেখানে আবারও যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। আমি তাকে বললাম, পরদিন নির্ধারিত সময়ে তার সঙ্গে আমার দেখা হবে। অবশ্য, পরদিন আমি গ্রেফতার হওয়ার কারণে সে কথা রাখতে পারিনি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্নেল আবু তাহেরের গোপন বিচার নিয়ে রিপোর্ট করতে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। যে কেউই একে বিচার বলে অভিহিত করতে বিব্রতবোধ করতো। এটি ছিল এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জেনারেল জিয়া তার বন্ধু আবু তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একসময় এই তাহেরই জিয়ার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। আমি ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির জন্য রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলাম। ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমেই তাহেরের বিচার সংক্রান্ত খবরটি পুরোপুরিভাবে ধামাচাপা দেওয়া হলো। আমার করা একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিবিসির বাংলা সংস্করণে প্রথম তাহেরের বিচারের খবরটি প্রকাশ পায়। ব্যাংককে রয়টার্সের অফিসে আমার প্রতিবেদন পাঠানোর পথ পেয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে সেগুলো হংকং ও লন্ডনে আমার সম্পাদকদের কাছে পাঠানো হলো। ঢাকা টেলেক্স অফিস থেকে আমার প্রতিবেদন আদান-প্রদান প্রক্রিয়া এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখা হলো। আমাকে তিনদিনের জন্য আটকে রাখার পর ব্যাংককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ততক্ষণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সেন্সরশিপ আরোপের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানওই ভদ্রলোক কী বলতে চেয়েছিলেন তা শোনার জন্য আমি আর সময় নির্ধারণ করতে পারিনি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ঢাকায় যাই এবং সিদ্ধান্ত নিই ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করব। দেখা করার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইব। আমার পক্ষে এতটুকুই করার ছিল। তবে এত বছর আগে তিনি আমাকে কী বলতে চেয়েছিলেন তা জানার জন্য খুব আগ্রহ হচ্ছিলো। আমি তার অফিসের খোঁজ পেলাম এবং তিনি আমাকে দ্রুত দেখা করতে বললেন। আমি পৌঁছানোর পর তিনি আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। ১৯৭৬ সালের জুলাইয়ের সে দিনটিতে দেখা না করায় তিনি আমাকে খানিক তিরস্কার করলেন। জিজ্ঞেস, আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, আর সেই রাতেই আপনার গ্রেফতার হতে হলো?’ আসলে দেখা করতে না পারার সেই ঘটনায় তিনি আমাকে ক্ষমাই করে দিয়েছিলেন। চা দেওয়া হলো। তার আস্থাভাজন এক ব্যক্তি যেন আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে, তিনি তার ব্যবস্থা করলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা আমাকে বলতে চেয়েছিলেন তা মনে আছে কিনা। জবাবে তিনি বললেন, ‘এ তো মনে হচ্ছে গতকালকের কথা।’ এরপর তিনি পুরোপুরি গুরুগম্ভীর হয়ে গেলেন। পরবর্তী এক ঘণ্টা তিনি মজার এক গল্প শোনালেন। পরবর্তী বেশ কিছুদিন তার বাড়িতে দুপুর অথবা রাতের খাবার খেতে গিয়ে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা। তার স্ত্রী ছিলেন সেই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী। স্বামীর কথার সত্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কোথাও কোথাও নিজের স্মৃতি থেকে অতিরিক্ত তথ্যও যুক্ত করছিলেন তিনি। আসলে আমাকে তিনি তাই বলেছিলেন, ৩০ বছর আগে যা বলার কথা ছিল। ঘটনাগুলো ছিল ১৫ আগস্টের কাছাকাছি সময়ের, যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। ঢাকার কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও ওই ভদ্রলোকের অনেক বন্ধু আছে। নিজের ব্যবসার কারণে এসব মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক হওয়াটা স্বাভাবিক। তিনি আমাকে বললেন, মার্কিন দূতাবাসে তার একজন বন্ধু আছে। তিনি রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তার নাম ফিলিপ চেরি। ওই মার্কিনিকে সুদর্শন ও চমৎকার মানুষ হিসেবে বর্ণনা করলেন তিনি। বললেন, বাংলাদেশের জন্য তার অনেক প্রেম আছে। মাঝে মাঝে তারা ওই ব্যক্তির মালিকানাধীন কারখানা পরিদর্শনের জন্য দুইজন একই গাড়িতে করে যেতেন। বাংলাদেশ কত সুন্দর দেশ, এ কথাটা ফিলিপ চেরি যেভাবে বলতেন তা মনে আছে তার। ১৯৭৫ সালের জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরুতে ফিলিপ চেরি ওই ভদ্রলোককে ডেকে বলেছিলেন, তিনি তার বাড়িতে একটি নৈশভোজের আয়োজন করতে পারে কিনা। ওই ভদ্রলোক বলেছিলেন, তিনি সেটা করতে পারলে আনন্দিত হবেন। ফিলিপ চেরি কি নির্দিষ্ট কিছু অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিলেন? আয়োজককে চেরি নিশ্চিত করলেন যে তিনি চান কেবল একজন অতিথিকে আমন্ত্রণ করা হোক। তবে স্ত্রীকে নিয়ে আসতে কোনও সমস্যা নাই। ওই অতিথি হলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। সেই ভদ্রলোক জেনারেল জিয়াকে চিনতেন। তিনি জানালেন, ওই নৈশভোজ আয়োজন করতে পারলে তিনি খুশিই হবেন। চেরি কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখের কথা বললেন। নৈশভোজ আয়োজিত হলো। জেনারেল জিয়া তার স্ত্রী খালেদাসহ সেখানে পৌঁছালেন। ফিলিপ চেরিও তার স্ত্রীসহ সেখানে গেলেন। ওই নৈশভোজে তাদের পাশাপাশি আয়োজক ও তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আয়োজক বললেন, অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ আগে নৈশভোজটি আয়োজিত হয়েছিল। তার স্ত্রী মনে করেন, এটা দশ দিন আগের ঘটনা। ওই নৈশভোজে ওই দুই ব্যক্তির পৌঁছানোর পর পরই পরিষ্কার হয়ে গেলো, তারা তাদের নিজেদের মধ্যেই আলাপ করতে চাইছেন। জেনারেল জিয়া ও ফিলিপ চেরি বাগানের ভেতরে গেলেন এবং খাবার পরিবেশনের আগ পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বললেন। জিয়া ও চেরিকে দেখে মনে হলো ওনারা একে অপরের চেনা। নৈশভোজের পর তারা আরেকবারও বাগানে গেলেন এবং আলোচনা করতে লাগলেন। ওই সময়ে দেখে মনে হয়েছিল তারা গালগল্প করছেন। অবশ্য, অভ্যুত্থানের পর সে নৈশভোজের আয়োজক ও তার পরিবার বুঝতে পারলো তাদের ‘ব্যবহার’ করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পরদিন নৈশভোজের সে আয়োজক এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি গাড়ি চালিয়ে গুলশানে ফিলিপ চেরির বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। নৈশভোজ আয়োজনকারী সে ব্যক্তি ক্ষুব্ধ ছিলেন এবং তার চোখে ছিল অশ্রু। কীভাবে এটা হয়েছে তা জানতে চাইতে থাকেন তিনি। তিনি মুজিবের স্ত্রীকে ‘নিজের মায়ের মতো’ বলে উল্লেখ করেন। তারা তাকে মেরে ফেলেছে। কেন? পুরো পরিবারকে হত্যা করা নিয়ে নৈশভোজ আয়োজনকারী ওই ব্যক্তি ক্রুদ্ধ ও মর্মাহত ছিলেন। বারবার জানতে চাইছিলেন, ‘কীভাবে এমনটা হলো?’ চেরির স্ত্রী তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, তাকে চা দিয়েছিলেন। চেরি তাকে বলছিলেন, ‘আমি জানি তুমি আমাদের পরিবারের খুব কাছের মানুষ। রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের গাড়িতে করে চলে যান। এরপর তিনি আর চেরির দেখা পাননি। তাদের পরিবার রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তারা জানে, জিয়া-চেরির এই ডিনার কোনও সামাজিক উদ্দেশ্যে নয়। তারা ভালো করেই জানত, সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়ার ভূমিকা কী ছিল। সেনাবাহিনীকে মেজরমুখী করতে জিয়া কী করেছেন। তারা জানত, ১৫ আগস্টের কিছু সময় আগে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটনের টার্গেট নেওয়া মেজর ফারুক ও মেজর রশিদের কর্মকাণ্ড থেকে সেনাবাহিনীর মনোযোগ সরিয়ে দিতে তিনি কী করেছিলেন। অনেকেই বুঝতে সক্ষম হয়েছিল যে অভ্যুত্থানে জিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জেনারেল জিয়া এর বিরোধিতা করলে এই অভ্যুত্থান সম্ভবই ছিল না। তথ্য-প্রমাণ থেকেও বোঝা যায়, অভ্যুত্থানে মূল কারিগরের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিয়া। খন্দকার মুশতাক আহমেদের চেয়ে তার ভূমিকাই বড় ছিল। চেরি-জিয়ার বৈঠক যে বাসায় হয়েছিল, ঢাকা সফরের সময় এক সন্ধ্যায় আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ওই ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের কাছে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, চেরি যে সে সময়ের ঢাকার সিআইএ স্টেশন প্রধান ছিলেন তা তিনি জানতেন কিনা। আমার কথা শুনে তিনি চমকে যান। বলেন, আমি ভেবেছিলাম সে দূতাবাসের কোনও রাজনৈতিক কর্মকতা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমার পূর্বের লেখাতেও স্পষ্ট করেছি যে চেরি সিআইএ স্টেশন প্রধানই ছিলেন। একদম নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি আমি। সে সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টারই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নেপথ্যে কারা? আমরা এখন স্পষ্টই বুঝি যে সামরিক অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ও আমেরিকার সিআইএ স্টেশন চিফের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ছয় মাস আগেই বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার স্পষ্ট করে দূতাবাসের সবাইকে বলে দিয়েছিলেন যে মুজিব পতনের সঙ্গে জড়িত কারও সঙ্গে যেন যোগাযোগ না করা হয়। ১৯৭৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে শক্তিশালী করতে চাইছিলো। পরবর্তী কোনও এক নিবন্ধে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। অভ্যুত্থানের সপ্তাহখানেক আগে ফিলিপ চেরি ও জিয়াউর রহমান ঢাকায় একটি আবাসিক ভবনে বৈঠকে বসেন। কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত না থাকলে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসা কিংবা কথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না চেরির। রাষ্ট্রদূত বোস্টার যেহেতু এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, তার মানে তাকে অন্য কেউ নির্দেশনা দিয়েছিল। সিআইএ স্টেশন চিফ হয়তো ওয়াশিংটন কিংবা ল্যাংলির কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশমতো কাজ করেছিলেন। ব্রিটিশ লেখক ক্রিস্টোফার হিচেন তার বই ‘দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার’-এ বাংলাদেশ নিয়ে একটি অধ্যায় রেখেছেন। তার মতে, ১৯৭৪ সালের আগস্টে নিক্সনের মৃত্যুর পর এই নির্দেশ দেওয়া ও অভ্যুত্থানের সমর্থন করার মতো সক্ষম একমাত্র একজনই ছিলেন। হিচেন তার বইয়ে লেখেন, রাষ্ট্রদূত বোস্টার বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে তার সিআইএ স্টেশন নেপথ্য কোনও ক্ষমতাশক্তির নির্দেশনায় কাজ করছে, যার সম্পর্কে তিনি অবগত নন। ওয়াশিংটনকে যদি এ সম্পর্কে অবগত না করা হতো, সেক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অর্থহীন হয়ে যেতে পারত। ফোর্টি কমিটি আর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এখনকার ভয়ঙ্কর যোগসূত্রের মতো করেই সিআইএ-ওয়াশিংটন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় অভ্যুত্থানটি সম্ভব করে তুলেছিল। ফিলিপ চেরি ও জেনারেল জিয়াউর রহমানের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হাজির করে: মার্কিন সরকারের পক্ষে কে চেরিকে নির্দেশনা দিচ্ছিলো। তার এই নির্দেশনা কি ফোর্টি কমিটি থেকে দেওয়া হয়েছিল? নাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা হেনরি কিসিঞ্জারের দল সরাসরি এই নির্দেশনা দেয়? পরবর্তী নিবন্ধে এসব প্রশ্ন মীমাংসার চেষ্টা করা হবে। শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের বেদনা-বিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এইদিন অতিপ্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে স্ব-পরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের অনেকেই। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের নকলায় ১৫ আগষ্ট বুধবার ভোরেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে এক র্যালীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। এতে অংশ নেয় উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান,সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এফএম কামরুল আলম রনজু, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম রিপন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আরমানা হক, মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা তাসনীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, সহ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেত্রীবৃন্ধ, কৃষকলীগ, শ্রমীক লীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলার সকল সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃদ্ধ । সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট ড. কামাল ও ডা. বদরুদ্দোজা মিলে যে যুক্তফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেওয়ার কথা, তা আটকে গেছে। ঘোষণায় আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নারও নাম ছিল। ড. কামাল তা কেটে দিয়ে আমেরিকায় চলে যাওয়ায় রব ও মান্নার প্রতিবাদের মুখে ঘোষণাটি আটকে গেছে। ঈদের পর ড. কামাল দেশে ফিরবেন, তখন এই ঘোষণার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। জন্মের আগেই যুক্তফ্রন্ট নামক এই শিশুর যে অবস্থা, তাতে জন্মের পর তার অবস্থা কী হবে? এই রুগ্ণ শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বহু বিতর্কিত ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বরের ঘরের পিসি এবং কনের ঘরের মাসি। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলের—বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের সুহৃদ। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কতটা মোকাবেলা করতে পারবে সে সম্পর্কে আশাবাদী না হওয়ায় এই রাজনৈতিক নারদ ঠাকুর এখন আওয়ামীবিরোধী এবং তথাকথিত সুধীসমাজ সমর্থিত একটি যুক্তফ্রন্ট গঠনে উত্সাহী। তলে তলে এই সম্ভাব্য যুক্তফ্রন্ট ও বিএনপির ২০ দলীয় জোটের মধ্যে একটি সমঝোতা সৃষ্টিরও চেষ্টা চলছে। এই সমঝোতা প্রতিষ্ঠার পথে কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু একমাত্র হাসিনাবিদ্বেষ ছাড়া এদের মধ্যে নীতি-আদর্শের কোনো বালাই নেই, ঐক্যও নেই। ডা. বদরুদ্দোজা তো নিজেই বিএনপির লোক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মুসলিম (বাংলাদেশি) জাতীয়তাবাদে ঘোর বিশ্বাসী। ‘জিয়াবাদ’ নামক কাঁঠালের আমসত্ত্বের মতো বইও লিখেছেন। ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর এক হাতে গীতা, আরেক হাতে কোরআন। আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া হলে গীতাকে ভোট দেওয়া হবে এবং বিএনপিকে ভোট দেওয়া হলে কোরআনকে ভোট দেওয়া হবে। ড. কামাল হোসেন কেন আওয়ামী লীগে ঢুকেছিলেন আমি জানি না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সারা বিশ্বে পরিচিত উদীয়মান নেতা। সম্ভবত অর্ধপরিচিত তরুণ আইনজীবী হিসেবে ড. কামাল তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন পেশায় এবং রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য। তাঁর সেই আশা পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শে তিনি কতটা বিশ্বাস করতেন, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেও আমি তা বুঝতে পারিনি। তাঁর প্রতি আমার কোনো ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা যখন রাজনৈতিক মঞ্চে আসেননি তখন অক্সফোর্ডে সপরিবারে বসবাসরত ড. কামাল হোসেনের দিকেই অনৈক্য জর্জরিত ও নেতৃত্বহীন আওয়ামী লীগে ঐক্য ফিরিয়ে আনা এবং নেতৃত্বদানের আশায় তাকিয়েছিলাম। এই আশায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা প্রয়াত গউস খানের নেতৃত্বে বারবার অক্সফোর্ডে দৌড়ে গেছেন। তিনি তাতে সাড়া তো দেনইনি, বরং উল্টো কাজ করেছেন। তিনি যে সেক্যুলারিজম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নন, তার প্রমাণ আমি পেয়েছি বহুদিন আগে এক ঘটনায়। তখন আমি প্রায়ই লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে যেতাম ড. কামাল হোসেনের বাসায়। সেখানে ড. নুরুল ইসলাম, রেহমান সোবহান ও মোশাররফ হোসেন অর্থাৎ ড. কামাল হোসেনের এই বন্ধুরাও উপস্থিত থাকতেন। আমি তাঁদের নাম দিয়েছিলাম গ্যাং অব ফোর। একদিন ড. কামালের বাসায় এ ধরনের এক বৈঠকে প্রশ্ন উঠল, বাংলাদেশ কি সেক্যুলারিজম গ্রহণ করবে, না মুসলিম জাতীয়তাবাদ। এই বৈঠকে সেদিন শুধু মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে তখন জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়েছেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ নাম দিয়ে মুসলিম জাতীয়তাবাদ প্রবর্তনের চেষ্টা করছেন। তাঁকে সহযোগিতা দিচ্ছেন আবুল মনসুর আহমদের ভায়রা খোন্দকার আবদুল হামিদ। আবুল মনসুর আহমদ এখন বেঁচে নেই। কিন্তু তাঁর শিষ্য ও আত্মীয়টি তাঁর থিয়োরিটি প্রচার করছিলেন। অক্সফোর্ডের সেদিনের আসরে মোশাররফ হোসেন দৃঢ়ভাবে সেক্যুলার বাংলার পক্ষে কথা বলেছিলেন। আর ড. কামাল হোসেন খুবই মৃদু কণ্ঠে মুসলিম বাংলার পক্ষে কথা বলছিলেন। তাঁর চরিত্রের একটা দিক তখনই আমার কাছে উদ্ঘাটিত হয়েছিল। এরপর দুটি ঘটনায় তাঁর প্রতি আমার আস্থা ও শ্রদ্ধা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। তিনি আমার চেয়ে বয়সে এক বছরের ছোট। তবু তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসের কথা। লন্ডনের ইন্ডিয়া উইকলি কাগজের সম্পাদক ছিলেন ড. তারাপদ বসু। তিনি একদিন আমাকে চরমপত্রখ্যাত এম আর আখতার মুকুল ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি গউস খানকে জানান, আমরা যেন এখনই ব্রিটিশ লেবার দলের এমপি সিডনি বিডওয়েল, মাইকেল বার্নস ও পিটার শোরের সঙ্গে দেখা করি। মাইকেল বার্নস ও পিটার শোর দুজনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বন্ধু। সিডনি বিডওয়েলও ছিলেন বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী। মাইকেল বার্নস আমাদের জানালেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগ একটি সূত্রে জানতে পেরেছে জেলে বন্দি তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় নেতাদের হত্যার একটা চেষ্টা চলছে। ব্রিটিশ সরকার সরাসরি এ ব্যাপারে কিছু করতে পারে না। তবে বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধিত্ব স্থানীয় নেতা ব্রিটিশ সরকারকে এ ব্যাপারে অনুরোধ জানালে বিষয়টি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে জেলে নেতাদের অবস্থা জানার জন্য বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের ওপর তারা চাপ দিতে পারে এবং জেলে বন্দি নেতাদের জন্য লিগ্যাল এইডের ব্যবস্থা করতে পারে। এ কথা শোনার পর আমরা ছুটে যাই অক্সফোর্ডে ড. কামাল হোসেনের কাছে। তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের খুবই পরিচিত। তাঁর কথায় ব্রিটিশ সরকার গুরুত্ব দেবে। কিন্তু কামাল হোসেনের কাছে গিয়ে তাঁকে সব কথা জানাতেই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘না, না, এসব গুজবে কান দেবেন না। আমরা এসব কথা বলাবলি করলে ওরা সত্যি সত্যি নেতাদের মেরে ফেলবে। না হলে নেতারা নিরাপদ থাকবেন।’ তিনি কিছুতেই আমাদের প্রস্তাবে রাজি হলেন না। আমরা হতাশ হয়ে ফিরে এলাম। এর কিছুদিন পরই নভেম্বর মাসের গোড়ায় ঢাকা জেলে চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। সুদূর লন্ডনে বসে আমাদের তখন আর কিছু করার নেই একটি শোকসভা করা ছাড়া। ১৯৭৫ সালের ১৩ নভেম্বর তাসাদ্দুক আহমদ, মইদুল হাসান (মূলধারা ’৭১ বইয়ের লেখক) এবং আমি আহ্বায়ক হয়ে লন্ডনের কনওয়ে হলে একটি শোকসভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জাস্টিস আবু সাঈদ চৌধুরী ক্ষমতা দখলকারী মোশতাক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আমাদের সভায় যোগ দিতে রাজি হন। আরও পড়ুন ধর্ষণ রোধে এখনই যৌনশিক্ষা চালু করা দরকার: মাওলানা হামিদুল ইসলাম কিন্তু কামাল হোসেন এ সভায় যোগ দিতে আর রাজি হন না। অবশেষে তাঁর বন্ধু মইদুল হাসান তাঁকে রাজি করার ভার নেন এবং বুঝিয়েসুজিয়ে সভায় নিয়ে আসেন। এ সভায় মোশতাকের সমর্থকরা হামলা চালায়। সভার দর্শকরা তা প্রতিহত করে। এমনকি জাস্টিস চৌধুরীও সব বাধা অগ্রাহ্য করে বক্তৃতা দেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল ড. কামাল হোসেন সভায় নেই। তিনি কাউকে কিছু না বলে, বক্তৃতা না দিয়ে কনওয়ে হলের পেছনের দরজা দিয়ে চলে গেছেন। এবার দ্বিতীয় ঘটনা। সম্ভবত বঙ্গবন্ধু হত্যার বছর কয়েক পরের ঘটনা। জিয়াউর রহমান তাঁর হাতের পুতুল বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেন। নিজের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বিশ্ববাসীর কাছে বৈধ করার লক্ষ্যে তাঁর পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য দেশের কিছু প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত বামপন্থী সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীকে বিদেশে পাঠাতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাপ্তাহিক হলিডের সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান মিন্টু। এনায়েতুল্লাহ খান ইউরোপে এসে প্রথমে সুইডেনের টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা বললেন, তা শুধু সমালোচনা ছিল না, ছিল নির্লজ্জ গালাগাল। লন্ডনে বসে আমরা বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা ঠিক করলাম এই প্রচারণার প্রতিবাদ জানাব। আমরা সুইডিশ টেলিভিশনকে জানালাম, আমাদের পাল্টা বক্তব্য প্রচার করতে হবে। সুইডিশ টেলিভিশন রাজি হলো এবং লন্ডনে আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করতে আসতে চাইল। আমরা ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ জানালাম, তিনি বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ও অনুসারী বলে দাবি করেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হননের বিরুদ্ধে তিনি যেন সুইডিশ টেলিভিশনে কথা বলেন। তিনি রাজি হলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ তখন ঢাকা থেকে লন্ডনে চলে এসেছেন। আমরা দুজনে মিলে সেন্ট্রাল লন্ডনে অভিজাত চার্চিল হোটেলে একটি কক্ষ ভাড়া নিলাম। ওই কক্ষেই সুইডিশ টেলিভিশন আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করবে। আমাদের তখন টাকা-পয়সা নেই। নিজেদের পকেট এবং বন্ধুবান্ধবের টাকা নিয়ে হোটেলের ভাড়া মেটালাম। সকাল ১০টায় রেকর্ডিং শুরু হবে। ড. কামাল এর আগেই এসে পৌঁছবেন কথা দিয়েছেন। সুইডিশ টেলিভিশন যন্ত্রপাতি নিয়ে ১০টার আগেই এসে গেছে। ১০টা, সাড়ে ১০টা, ১১টা, দুপুর ১২টায়ও কামাল হোসেন আর এসে পৌঁছেন না। অতঃপর আমি আর সুলতান শরীফ যা পারি তা বলেছি। সুইডিশ টেলিভিশন তা প্রচার করেছে। এ রকম ঘটনা একবার নয়, কয়েকবার ঘটেছে। আজ সব ঘটনা লিখে পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে লিখব। প্রসঙ্গত, একটি ঘটনার কথা বলে বিষয়টি শেষ করতে চাই। বঙ্গবন্ধু ড. কামালকে অসম্ভব ভালোবাসতেন এবং বিশ্বাস করতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আইয়ুব-ইয়াহিয়ার অনুগ্রহভোগী এক বাঙালি বুদ্ধিজীবী ড. জি ডাব্লিউ চৌধুরী (গোলাম ওয়াহেদ চৌধুরী) ‘লাস্ট ডেজ অব ইউনাইটেড পাকিস্তান’ নামে একটি বই লেখেন। এতে একাত্তরের গণহত্যার বর্বরতাকে এড়িয়ে গিয়ে পাকিস্তান ভাঙার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দায়ী করেন। বঙ্গবন্ধু এই বইয়ের মিথ্যা প্রচারণার জবাবদানের জন্য ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ জানান। ড. কামাল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও চাতুরী করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে জানান, বইটি লেখার জন্য তিনি তিন মাস সময় চান এবং তিন মাস অক্সফোর্ডে বাস করবেন। তিনি নবগঠিত বাকশাল মন্ত্রিসভায় শপথ না নিয়ে অক্সফোর্ডে চলে আসেন। আমিও তখন লন্ডনে। বঙ্গবন্ধু মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললে বলতেন, ‘কামাল বইটির কতদূর করেছে জানো?’ আমি বলতে পারতাম না। অক্সফোর্ডে তখন মাঝেমধ্যেই যেতাম। ড. কামালকে জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘প্রায় গুছিয়ে এনেছি। শিগগিরই লেখা শুরু করব।’ সেই বই তিন মাসেও লেখা হয়নি, এমনকি বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও নয়। এর পরও শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাঁকে শুধু রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে নয়, পারিবারিক অভিভাবক হিসেবেও গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি বিএনপির জাস্টিস সাত্তারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নও দিয়েছিলেন। তিনি জেতেননি। দেশের মানুষ তাঁকে বহু আগেই চিনে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্রপতি পদে কেন, জাতীয় সংসদের সদস্য পদেও ভোট দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের পরম আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিদানও তিনি দিয়েছেন চমৎকারভাবে। দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশ যখন স্বৈরাচারী শাসনমুক্ত এবং শেখ হাসিনা প্রচণ্ড বাধা-বিপত্তি ও চক্রান্তের মুখে, যখন গণতান্ত্রিক শাসনকে স্থিতিশীল রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন দলের ভেতর প্রথম যে বিভীষণ বেরিয়ে এলেন তিনি ড. কামাল হোসেন। তিনি নানা ষড়যন্ত্র পাকিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর শেখ হাসিনার পিঠে ছুরি মারতে চেয়েছেন বারবার। কখনো কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ঘোঁট পাকিয়ে, কখনো ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে জোট বেঁধে, কখনো বিএনপি-জামায়াতকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে (২০০১), কখনো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসকে উসকে দিয়ে, কখনো পশ্চিমা কূটনীতিকদের কাছে কান কথা বলে এবং এখন ২০০১ সালের নির্বাচনের সময়ের প্রচ্ছন্ন ভূমিকাকে প্রকাশ করে দিয়ে কিছু রাজনৈতিক এতিম দল ও নেতা নিয়ে হাসিনাবিরোধী যুক্তফ্রন্ট গড়তে চান। এখন শোনা যাচ্ছে, এই যুক্তফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপির ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সখ্য গড়ারও একটা উদ্যোগ চলছে। বিস্ময়ের কথা, বিএনপিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনে যেখানে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ তাঁদের গোত্রের অন্যান্য নেতাও বিএনপি জোটের সঙ্গে যুক্ত হতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, সেখানে ড. কামাল হোসেন নাকি বিএনপির সঙ্গে মিতালি পাতাতে তারেক রহমানের ব্যাপারটিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। খবরটি পড়ে মনে মনে বলেছি, ‘কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই।’ বেশিদিনের কথা নয়, বছর পাঁচেক আগে বন্ধুবর মোনায়েম সরকারের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি কথায় কথায় বলেছেন, ‘তারেক রহমানের মতো এক দুর্বৃত্ত যদি এ দেশের রাজনৈতিক নেতা হয়, তাহলে স্থায়ীভাবে এ দেশ ছেড়ে চলে যাব। ঢাকার দেয়ালে তারেকের নামে নানা স্তুতিমূলক পোস্টার দেখে ঘৃণায় সর্বাঙ্গ জ্বলে।’ সেলুকাস, বিচিত্র রঙে ভরা এ বঙ্গদেশ! সেদিনের কামাল হোসেন আজ হাসিনাবিদ্বেষে অন্ধ হয়ে তারেক রহমানের মতো তাঁরই কথিত রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের সঙ্গে নাকি মিতালি পাতাতে চান। বহু বছর আগে ড. কামাল অক্সফোর্ডে থাকাকালেই আমি তাঁর নাম দিয়েছিলাম মাকাল হোসেন। এতে শেখ রেহানা আমার ওপর রুষ্ট হয়েছিলেন। তখন দুই বোনের কাছে ড. কামাল হোসেন ছিলেন বিগ আংকেল, এখন সেই বিগ আংকেলের ভূমিকা দেখে তাঁরা কী ভাবছেন তা বোঝা কষ্টকর নয়। সব শেষে একটি কথা, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার ব্যক্তি সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁদের দুজন হলেন ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বাকি দুজনের নাম বলা প্রধানমন্ত্রীর উচিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের কোনো নেতা তাঁদের নাম বললে ভালো হতো। কারণ প্রধানমন্ত্রীর মুখে তাঁদের নাম উচ্চারিত হওয়ার মতো যোগ্যতা তাঁরা অর্জন করেননি। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিরা সব সময় খুনিই হয়। এরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। বার বার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। কাজেই এদের হাতে দেশের ক্ষমতা গেলে দেশের কি উন্নতি হবে, দেশের মানুষ কি ন্যায় বিচার পাবে? জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অন্যায়ের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তাই তারা কখনও ন্যায় বিচার করতে পারবে না। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং জিয়াউর রহমান তাদের দূতাবাসে চাকরিসহ বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছিল এমন ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া যাদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল তাদেরকেই খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে সংসদে নিয়েছিল। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে জিয়াউর রহমান একাই নয়, তার স্ত্রীও ১৫ আগস্টের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাঙালি জাতি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতো, উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেতো।
36fee106-f274-48b7-a7b2-3995a93f78cc
সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়া এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের দায়ে গ্রেফতার হওয়া দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তার সমর্থকরা আন্তর্জাতিক একাধিক চক্রকে ব্যবহার করে তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। যারা এমন প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, বিতর্কিত ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষে আছেন তসলিমা নাসরিনও। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক তৎপরতাও থেমে নেই শহিদুল আলমের। তার মুক্তির পক্ষে কথা বলছেন, সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক (স্যামডেন), বৃটিশ পার্লামেন্টের দু’জন এমপি- রুশনারা আলি ও রুপা হকসহ একাধিক ব্যক্তি। বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তারা প্রত্যেকেই বরাবরই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তৎপর থেকেছেন। যদিও একাধিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে শহিদুল আলম বিভিন্ন অপকর্মের প্রমাণ। ফলে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তির পক্ষ অবলম্বন করে বিভিন্ন মহলের তৎপরতায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এতো প্রমাণাদি থাকা স্বত্ত্বেও কেন তারা শহিদুল আলমকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তৎপর? বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ-বিত্তের প্রভাব। শহিদুল আলম অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। আর তা প্রকাশ্যে আসে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে তার অনৈতিক তৎপরতার প্রেক্ষিতে। তিনি কেবল নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়নি বরং কোটা আন্দোলনকেও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তৎপর ছিলেন এই শহিদুল আলম। অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, সরকারকে বিপাকে ফেলতে শহিদুল আলম একাধিক আন্তর্জাতিক চক্র ও ব্যক্তিদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে ষড়যন্ত্রের ই-মেইল চালাচালি করেন। তিনি জনৈক মার্টিন থিয়েরি এবং জ্যাসপার নামক দুজন ব্যক্তির সাথে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের বার্তা আদান-প্রদান করার প্রমাণও মিলেছে এরইমধ্যে। ২৪ জুলাইয়ে মার্টিন ও জ্যাসপার একটি বার্তায় নিরাপদ সড়কের দাবির নামে সরকারকে ক্রমাগত চাপে ফেলতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেন শহিদুলকে। প্রয়োজনে টাকা খরচ করে, তাদের উপহার পাঠিয়ে নিজেদের গোপন মিশনের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি করানোর জন্য শহিদুলকে অনুরোধ করেন তারা। এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে সকলকে নিয়ে মাঠে নামার নির্দেশনা আসে দুই বিদেশির ই-মেইল থেকে। প্রয়োজনে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে সহিংসতার রূপ দিয়ে সরকারের টনক নড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শহিদুল আলমকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এমনকি পরিকল্পনা হয়- সহিংসতার মাত্রার প্রেক্ষিতে সরকারকে সকল দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে বলেও সোচ্চার থাকতে বলা হয়। এছাড়া শহিদুল আলম দুজনকে বার্তা দেন যে, বাংলাদেশের অবস্থা ভাল না। যেকোন দাবি আদায় করতে সহিংসতা করলে সরকার বাধ্য হয়ে সেগুলো মেনে নেয়, এমন মিথ্যা এবং উসকানিমূলক তথ্যও পাচার করেছেন শহিদুল আলম। এছাড়া আইএসআইয়ের চর এবং পাকিস্তানের বিতর্কিত চিত্রশিল্পী সেলিমা হাসমির সাথেও মেইলে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ ও সরকার দলীয় কর্মীদের সহিংসতায় জড়িত থাকার গুজব সম্পর্কিত তথ্য পাচার করেন। বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেলিমা হাসমির মাধ্যমে আইএসআইকে পাচার করে দিয়েছেন শহিদুল আলম। বাংলাদেশকে একটি অনুন্নত, গরীব দেশ হিসেবে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরে দেশকে ছোট করেছেন তিনি। শহিদুল আলমের এমন কাজ সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করতেই শহিদুল আলম বিদেশি শত্রুদের পরামর্শে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। একাজে তাকে সহায়তা করেছে একাধিক প্রভাবশালী দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি। আটক শহিদুল আলমের শিষ্যরা বিদেশি বুদ্ধিজীবীদের টাকা খাইয়ে তার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য চিঠি লেখা, বিবৃতি-বক্তব্য দেওয়া ও দেন-দরবার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি, মার্কিন বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি, ভারতীয় লেখিকা অরুন্ধতী রায়, কানাডিয়ান লেখক নাওমি ক্লেইন, আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক ইভ এন্সলার এবং ভারতীয় বুদ্ধিজীবী বিজয় প্রসাদ, বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক রঘু রাই প্রমুখ ব্যক্তিরা শহিদুল আলমের অপরাধ, ষড়যন্ত্র এবং উস্কানির বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদভাবে না জেনেই অন্ধ হয়ে তার মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। সূত্র বলছে, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। তার এই অপতৎপরতার আঁচ পেয়ে দীর্ঘদিন তাকে নজরদারিতে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনকি বাংলাদেশকে স্থবির এবং অচল করে দেওয়ার জন্য ইসরাইলের সাথে গোপনে যোগাযোগ এবং তাদের কুপরিকল্পনায় নিজের সমর্থনও জানিয়েছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর শহিদুল আলমের সহযোগিরা যোগাযোগ করে এইসব বিদেশি বুদ্ধিজীবীদের নিজেদের পক্ষে কাজ করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন। শহিদুল আলম বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন, অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে পাকিস্তান ও ইসরাইলের টাকা খেয়ে শহিদুল আলম এইসব বুদ্ধিজীবীদের ব্রেনওয়াস করে, বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে বিষোদগার করেছেন। আধুনিক সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রচলন, প্রচলিত নিয়ম ভাঙ্গার নামে প্রতিনিয়ত অনিয়ম করেছেন শহিদুল আলম। শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার নামে বাণিজ্য করেছেন তিনি। শিক্ষার নামে অপশিক্ষা, অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন শহিদুল আলম। সূত্র বলছে, বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার নামে ইসরাইলের মতো বিতর্কিত একটি রাষ্ট্রের অনুচর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। টাকা পয়সার প্রভাব খাটিয়ে বড় বড় বুদ্ধিজীবীদের সাথে বন্ধুত্ব করতেন শহিদুল। এখন এই বিদেশি বুদ্ধিজীবীরা তার ও তার সহযোগিদের প্ররোচণায় পড়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নাম ছড়াচ্ছে এবং একজন রাষ্ট্রদ্রোহীর পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। যেটি অনভিপ্রেত এবং অনাকাঙ্খিত। বুদ্ধিজীবীদের এমন অন্ধ অনুকরণ এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা ও উস্কানিমূলক তথ্য ছড়ানোয় দেশবাসী হতাশ হয়েছেন। আইনের দৃষ্টিতে ঘৃণ্য একজন অপরাধীর জন্য আন্তর্জাতিক চক্র বানিয়ে মুক্তির নামে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোয় সকলেই হতবাক হয়েছেন। অর্থ ও প্রাচুর্য নিশ্চিয়ই মানুষের অপরাধ ঢাকতে পারে না। আইন সবার জন্য সমান। ফলে শহিদুল আলমের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করেছেন দেশবাসী। এছাড়াও বর্তমান সরকারের আমলে সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন কাজ কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সদর আসনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকায় একটি অত্যাধুনিক শিশুপার্ক নির্মানের কাজ ও ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডের আধুনিকায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পশ্চিম মেড্ডা নির্মানাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় তার রয়েছে অসামান্য অবদান। শুধু উন্নয়ন কর্মকান্ডই নয়, মোকতাদির চৌধুরী এমপির কারনে সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রয়েছে সন্তোষজনক পর্যায়ে। তিনি কথামালায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, টেন্ডারবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, দুর্নীতিবাজ, ইভটিজার তথা সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ অবস্থানের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও ভ‚মিদস্যুরা কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। তার এসব গুনাবলীর কারনে তার প্রতি জনগনের সমর্থন দিন দিন বাড়ছে। র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোঃ আবদুর রউফ চৌধুরী, মাতার নাম মোছাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী। তিনি ১৯৬৯ সালে মাদ্রাসা-ই আলীয়া, ঢাকা থেকে ফাজিল, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়েই বঙ্গবন্ধু পুত্র শহীদ শেখ কামালের সাথে তার পরিচয় ঘটে। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সনে তিনি তদানিন্তন পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নব-গঠিত বিজয়নগর উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা গঠনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি একজন লেখক, প্রবন্ধকার ও সুবক্তা। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ###
954c8f30-3183-40f8-bba2-9cdeef82c54f
তারেক রহমানের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সম্পদ রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডে তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। নামে-বেনামে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি রয়েছে তার। তার অবৈধ সম্পদের উৎস চাদাবাজি, দুর্নীতি এবং কমিশন। এভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কুক্ষীগত করে তারেক হয়ে উঠেছিলেন দুর্নীতির প্রতীক, মিস্টার ১০ পার্সেন্ট! দুর্নীতির মাপকাঠিতে তারেক যেন নিজেরই প্রতিদ্বন্দ্বি। তারেক হয়তো নিজেও জানে না এক জীবনে তার কতো টাকা লাগে? শত মামলার ফেরারি আসামি তারেকের জন্য এই সম্পদের পাহাড় বোঝার ন্যায়। তারেক রহমান বর্তমানে ১৭টি মামলার অভিযোগ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পরবাস যাপন করছেন। তারেক রহমান ১৯৮৭ সালে প্রথম মামা মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার ও বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ডান্ডি ডায়িং লিমিটেডের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি ডান্ডি ডায়িং থেকে পৃথক হয়ে বন্ধু মামুনকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কোকো লঞ্চসহ নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। পাশাপাশি নেপথ্যে থেকে তিনি দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও ভূমিকা রাখছিলেন। ফলে ২০০১ সালের নির্বাচনে তার সুপারিশে দলের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী দলীয় মনোনয়ন পান। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিবাজ তারেক হাওয়া ভবন থেকে টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালেশিয়া ও লন্ডনে বিশাল অট্টালিকা করেই ক্ষান্ত হন নাই; অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যে তার অজানা। তারেক রহমান শুধু ঢাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম করেননি, বগুড়ায় ব্যাপক নেতিবাচক কর্মকাণ্ড তিনি আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। বগুড়ায় তারেক রহমানকে ঘিরে নেতাকর্মীরা খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ে। চিহ্নিত অপরাধী ও সামজ বিরোধীদের সঙ্গে তারেকের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মেলে ১৯৯ পৃষ্ঠার ‘তারেক রহমান’ শীর্ষক ছবির অ্যালবাম ও কিছু আলোকচিত্রে। বগুড়ায় উন্নয়নের নামে লুটপাট করে তারেকের অনুসারীরা পাঁচ বছরে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে যান। বগুড়ার ‘চম্পা মহল’ ছিলো তারেকের আরেক দুর্নীতির আখড়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস’ তারেক রহমানের ১২ কোটি টাকা আটক করেছিল। বাংলাদেশের কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর আট কোটি টাকা ফেরত দেয়। তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। আমেরিকার এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে। এ মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের সাত বছরের সাজা ও ২১ কোটি টাকা জরিমানা হয়। ২০০৩ সালে ফোর স্ট্রোক সিএনজি বিশ্ববাজারের চেয়ে অনেক বেশি দামে বাংলাদেশে এনে কমিশন খান তারেক। একই সময়ে বন্ধু গিয়াস উদ্দিন মামুনের মাধ্যমে খাম্বা লিমিটেড করে কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাতিয়ে নেয়, বিমানকে পঙ্গু করে দেয় তারেক রহমানের লুটপাট। বসুন্ধরার সাব্বির হত্যাকান্ড থেকে বাঁচাতে নেয় ১০০ কোটি টাকা। ২০০৫ সালের ৮ মে মাহমুদুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, টাটা শিল্পগোষ্ঠী বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যা তৎকালীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ ছিল। বাংলাদেশ নির্ধারিত মূল্যে ২৫ বছরের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করবে। ৩ দশমিক ১০ মার্কিন ডলার প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম নির্ধারিত হলো সার কারখানা প্রকল্পের জন্য। আর ২ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার স্টিল কারখানার জন্য। তারেক রহমান টাটার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং সিলভার সেলিমকে নিয়ে একান্তে বৈঠক করতে চান। এসময় তারেকের পাশ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সরাসরি প্রশ্ন করলেন আমাদের কমিশন কত? রতন টাটা বললেন, এ ধরনের কমিশন দেওয়ার কোনো সিস্টেম টাটার নেই। তারেক জানতে চান, বাংলাদেশ সরকারকে ১০ শতাংশ মালিকানা দেওয়া হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে? রতন টাটা জানালেন, এটি ইকুইটি পারটিসিপেশন, যা বিদেশী বিনিয়োগের পূর্বশর্ত। তারেক দাবি করলেন ওই ১০ শতাংশ বা ২০০ কোটি ডলার গিয়াস উদ্দিন মামুনের ওয়ান লিমিটেডের বিদেশী একাউন্টের নামে দিতে হবে। রতন টাটা সবগুলো ব্যাংক ডিটেইলস চাইলেন এবং সেদিনই টাটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করলেন। বিদ্যুতের খাম্বাসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারের বড় বড় কেনাকাটা- সবই তারেক রহমানের মাধ্যমে হয়েছে। তারেক রহমান ব্যবসায়ী বন্ধুদের মাধ্যমে বিনা প্রতিযোগিতায় সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন। এমনকি মোটা অংকের টাকা মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আল-আমিন কনস্ট্রাকসনের মালিক আমিন আহমেদ ভূঁইয়ার কাছ থেকে এক কোটি টাকা চাদা নেয়ায় মামলা হয় তারেকের বিরুদ্ধে। সহস্র অর্থ লোপাটের কাহিনী রয়েছে এই এক তারেক রহমানের বিপক্ষে। বেশুমার দুর্নীতির অঘোষিত বরপুত্র এই তারেক রহমান। তবে এত অর্থের সঠিক কূল কিনারা তারেক নিজেও করতে পারেন না। নামে-বেনামে এত সম্পদের হদিস আজও অজানা। দেশের মানুষের কষ্টার্জিত, বিদেশী ভাইদের রেমিটেন্সের টাকা লোপাট করেই তারেকের এই টাকার পাহাড়। বিচার চান দেশের জনতা সাধারণ। তারেকের দুর্নীতির সব টাকা একদিন সাক্ষ্য দিবে, বিচার চাইবে প্রতিটি অন্যায় উপার্জনের কড়ি। লেখকঃ আজিজ পাশা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীদের আনন্দঘন মিলন মেলা,শিক্ষাজীবনের স্বর্ণালী স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে অন্নদা ৮৭ ব্যাচের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি সারাদেশের সাথে জেলার দূরত্ব কমে যাওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে জেলার মানুষের জীবন যাত্রার মান ও উন্নয়নের চিত্র। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ পুরো অঞ্চলের কয়েক লাথ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মানে ইতোমধ্যে প্রভাব ফেলছে। এখন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষে জেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবী তুলেছেন জেলাবাসী। তিস্তার কোল ঘেষে যাওয়া হিমালয়ের পাদদেশ সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট জেলা মফিজ এলাকা বলে খ্যাত উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে থাকা এখন যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিস্তা নদী উপর নবনির্মিত কাকিনা-মহিপুর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুটি খুলে দিয়েছে এ অঞ্চলের সম্ভাবনার নতুন দ্বার। এ বছরের শুরুতে সেতুটির কাজ শেষ হবার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গত এপ্রিল মাসে তা চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অধিকতর উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক রুট বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহর রংপুরের দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্যই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় তিস্তা নদীর উপর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ করে সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানান, পাশাপশি অবস্থান হলেও লালমনিরহাট ও বিভাগীয শহর রংপুরের মধ্যকার যোগাযোগের অন্তরায় তিস্তা নদী। সেই বাঁধা কাটাতে ২০১২ সালে ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর উপর ৮৫০ মিটার দীর্ঘ লালমনিরহাটের কাকিনা ও রংপুরের মহিপুরে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটি খুলে দেয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রংপুর শহরের সঙ্গে লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার লোকজন যোগাযোগ করতে পারছে। এর সুফল পাচ্ছে রংপুরের পিছিয়ে থাকা গঙ্গাচড়া উপজেলার মানুষও। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেতুটি এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে সড়কপথে বিভাগীয় শহর রংপুর ও ঢাকার দূরত্ব কমেছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এতে তারা কম সময়ে কাঁচামালসহ কৃষিজাত পণ্য পরিবহনে সক্ষম হচ্ছেন। তাছাড়া বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যও দ্বিগুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দরের গুরুত্ব অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করছেন তারা। বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স সায়েদ এন্টারপ্রাইজ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক ব্যবসায়ী সায়েদুজ্জামান সাঈদ বলেন, ‘কাকিনা-মহিপুর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু চালুর ফলে বুড়িমারী-লালমনিরহাট-বড়বাড়ী হয়ে ঘুরে আর রংপুর যেতে হচ্ছে না। এতে অল্প সময়ে পণ্য গন্তব্যে পাঠানো যাচ্ছে। কমেছে পরিবহন খরচও।’ পাটগ্রাম উপজেলার কলেজ ছাত্র হক রাকিব ও মেরিন বলেন, সেতুটি চালুর ফলে রংপুরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। লালমনিরহাটের ৪টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংসহ রংপুরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুযোগ সহজ হয়েছে। হাতীবান্ধার স্কুল শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান জুয়েল ও এনজিও কর্মী আফরোজা বেগম বলেন, অসুস্থ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ ঘুরে রংপুরে নিতে হতো। অনেক সময় দীর্ঘ পথ হওয়ায় অসুস্থ রোগী রংপুর পৌছানোর আগেই মৃত্যুবরণ করত। সেতুটি খুলে দেয়ায় সময় ও য়াতায়াত খরচ দু’টোই কমে এসেছে, এতে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহন সম্ভব হচ্ছে। মূলত সেতুটির দ্বার খুলে যাওয়ায় রংপুর ও লালমনিরহাট দু’জেলার উন্নয়নের দুয়ার খুলে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনরাত মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার ছোট-বড় যানবাহন এই রুট দিয়ে চলাচল করছে। লালমনিরহাটের চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সেতুুটি পিছিয়ে থাকা রংপুর অঞ্চলের ইতিবাচক আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সুযোগ এনেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও বাণিজ্য সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’ লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ‘তিস্তা নদী লালমনিরহাট ও রংপুরবাসীর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্তরায় ছিল। এ অঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে কাকিনা-মহিপুরে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ হয়েছে। এ সেতু নিমার্ণের ফলে লালমনিরহাট জেলা কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন যাত্রার মানের পরিবর্তন হয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম।
0dd3e1c4-04a1-4371-89d9-871be2012003
জানা যায়, যুক্তরাজ্যেও লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানায় অতিসত্ত্বর কে এবং কারা এ লবিস্ট নিয়েগের সঙ্গে জড়িত তা উন্মোচন করা হবে। উল্লেখ্য, পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত আউয়াল পরিবার, সাকা পরিবার, মির্জা আব্বাস এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একাধিক অর্থের উৎস হতে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হচ্ছে শুধুমাত্র বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিংকে শক্ত করার জন্য। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের জন্য বাঁশের কেল্লা, এটিভি, বিশ্ব তরুণ প্রজন্ম, আন্দোলন নিউজ, কোটা সংস্কার চাই, কামরুল বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন পেইজকে অর্থায়ন করে থাকে বিএনপি। ইতোমধ্যে সিআইএ এসকল পেইজের এডমিনদেরও সনাক্ত করতে পেরেছে। ‘কামরুল বাংলাদেশ’ নামক ফেসবুক পেইজটির মালিক সামসুল ইসলামকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রেখেছে সিআইএ। যথাশীঘ্র উক্ত পেইজগুলোর এডমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হবে জানিয়েছে সিআইএ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্য একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় ছিলো। তা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রোপাগাণ্ডা। জানা যায়, শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা/প্রচারণা চালানোর জন্যে বিএনপি বিভিন্ন দেশে সাইবার ইউনিট তৈরি করেছে। এই সাইবার ইউনিটগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ায় রয়েছে তিনটি, যুক্তরাজ্যে ১১টি এবং দুবাইয়ে রয়েছে ১ টি সাইবার ইউনিট। এগুলোর প্রত্যেকটিই বিএনপির নিজস্ব তৈরি করা সাইবার ইউনিট। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আজ বিশ্বস্বীকৃত। এক বছরে মানব উন্নয়ন সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপি শুক্রবার ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮’তে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৮৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৩৬তম অবস্থানে। ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছিল ১৩৯তম অবস্থানে; তার আগের বছর ছিল ১৪২তম অবস্থানে। ইউএনডিপির হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টস ২০১৮ স্ট্যাটিসটিক্যাল আপডেট অনুযায়ী- বাংলাদেশ গড় আয়ু, মাথাপিছু আয়সহ বিভিন্ন আর্থসামাজিক মানদণ্ডে বিগত সময়ের তুলনায় অগ্রগতি অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর, প্রত্যাশিত শিক্ষা বছর (এক্সপেকটেড ইয়ার্স অব স্কুলিং) ১১ দশমিক ৪ বছর, মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ৩ হাজার ৬৭৭ ডলার বলে সদ্য প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানা যায়। বিভিন্ন দেশে মানব সম্পদের অগ্রগতি নিরূপণে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা সবার আগে ৭৬তম অবস্থানে রয়েছে। প্রকাশিত সূচকে ভারত এক ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছে ১৩০তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গড় মান ০.৬৩৮-এর ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে ভারতের মান। পাকিস্তান এ তালিকার ১৫০তম এবং ভুটান ১৩৪তম অবস্থানে রয়েছে। ২০১৮ সালের মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকে নেতৃত্ব দিচ্ছে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি। আর তলানিতে রয়েছে নাইজার, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, চাদ ও বুরুন্ডি। বিশ্বব্যাপী সার্বিকভাবে মানব উন্নয়নে অগ্রগতি হচ্ছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১৮৯টি দেশের মধ্যে বর্তমানে ৫৯টি দেশ খুব উচ্চ মানব উন্নয়ন গ্রুপে রয়েছে। নিম্ন গ্রুপে আছে মাত্র ৩৮টি দেশ। আট বছর আগে ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৯। সূচকের শীর্ষ অবস্থানে থাকা নরওয়ের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৮২ দশমিক ৩ বছর, শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১৭ দশমিক ৯ বছর এবং মাথাপিছু আয় (জিএনআই) বছরে ৬৮ হাজার ১২ ডলার। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গিক সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করে ইউএনডিপি। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, রাব্বানী ও রাজিব ভাইয়ের কোলাকুলির দৃশ্য দেখে আমরা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। কিন্তু খড়গ নেমে আসে কিছুক্ষণ পরেই। গাড়িতে রাজিব ভাইয়ের সাথে বাড়ির পথে রওনা দিতেই লন্ডন থেকে ফোন করেন তারেক রহমান। চিরশত্রু ছাত্রলীগ নেতার সাথে কার অনুমতি নিয়ে এবং কোন সাহসে কোলাকুলি করা হল তারেক রহমানের এমন প্রশ্নে ভীত হয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান। ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি বাদ দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে এবং বিএনপি কখনো শত্রুর সাথে হাত মেলাতে পারে না বলে রাজিব আহসানকে বোঝান তারেক। তার এমন নির্বিকার ও অসহায় আত্মসমর্পণে বিএনপির সম্মানহানি হয়েছে বলেও জানান তারেক। বিএনপির দুর্বলতা প্রকাশিত হয়েছে কোলাকুলিতে। এর অর্থ হল বিএনপি দুর্বল হয়ে ভয়ে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা করছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক। রাজিব আহসানের এমন কর্মকাণ্ডে তৃণমূল বিএনপিতে ভুল বার্তা গিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবেও বলে রাগান্বিত হয়ে ফোন কেটে দেন তারেক। তারেক রহমানের এমন হঠাৎ টেলিফোনে ভীত হয়ে পড়েন রাজিব। অনিচ্ছাকৃত এবং অনাকাঙ্খিত ভুলের জন্য মাথা চাপড়াতে থাকেন রাজিব। গাড়িতে থাকাকালীন সময়েই রাজিব মির্জা আব্বাস ও মওদুদ আহমদকে ফোন করে বিস্তারিত জানান এবং তারেক রহমানের রোষানল থেকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান রাজিব। সূত্র বলছে, সুনামগঞ্জের সভায় এরশাদ দাবি করেছেন যে প্রতিদিন মানুষ মারা যায়, খুন হয়, গুম হয়, তার হিসাব নেই। সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ক্ষমতার পালাবদল হয়, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আর ক্ষমতার পালাবদল চায় না। মানুষ শান্তি চায়, জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এরশাদের দাবি অনুযায়ী বিএনপি-আওয়ামী লীগ শুধু দেশের ক্ষতি করেছে। এই দুটি দলকে বিদায় করে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় বসাতে পারলে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে বলে এরশাদের উপলব্ধি। বাংলাদেশের যত অর্জন তা গত দশ বছরে হয়েছে। সেটি দেশবাসীও প্রত্যক্ষ করেছে। এরশাদ নিজের চেয়ার বাঁচাতে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পকেট ভারি করতেই প্রতিবারই এমন করে যা দেশবাসী ভালমতই জানেন। এরশাদ ভালমতই জানেন তিনি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে কোনদিনই পারবেন না। নির্বাচনের আগে নিজের দাম বাড়াতে গিয়ে একটু বেশিই বলে ফেলেন এরশাদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদের মত চালাক ও ধূর্ত রাজনীতিক দ্বিতীয় কেউ নেই। রাজনীতি থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিষয়ের একজন অধ্যাপক বলেন, এরশাদের মত ক্যামেলিয়ন পৃথিবীর রাজনীতিতে বিরল। এরশাদ ভালমতই জানেন জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। তাই তো নির্বাচনের পূর্বে নিজের দাম বাড়াতে এবং পকেট ভারি করতে এরশাদ ভোল পাল্টাতে শুরু করেছেন। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য তার প্রশংসা করেন। অথচ স্বার্থ উদ্ধারের বিষয়টি মাথায় আসতেই এরশাদ রং পাল্টাতে শুরু করেছেন। এরশাদ ভালো মতই জানেন তিনি কেবল অন্য দলকে ক্ষমতায় বসানোর সিঁড়ি মাত্র। তিনি দরজার বাহিরে রাখা পাপোছ মাত্র। সকলেই তাকে ব্যবহার করে। সুতরাং সময় থাকতে সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার করতে চান এরশাদ। সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে, বিরোধী জনমত তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ মামলা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার মত অনৈতিক দাবি আদায় করতেই এরশাদ এসব করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এরশাদের বিষয়ে সতর্ক থাকা। এরশাদ পঁচা শামুকের মত। সুযোগ মত পা কেটে দিবে। লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার সীমান্তে কাকিনা-মহিপুর এলাকায় তিস্তা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ খুলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে নিমার্ণের পর রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর পর পরেই ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি খুলে দেওয়া হয় যান ও লোকজন চলাচলের জন্য। মহিপুর-কাকিনা পয়েন্টে এলজিইডি’র বাস্তবায়নে নবনির্মিত ৮৫০ মিটার দৈর্ঘের এই সেতুটি নির্মাণকালে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু হিসেবে প্রচার হয়। পরে লালমনিরহাট জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবরূপ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার নামে নতুন এই সেতুর নামকরণ করা হয়। এ সেতু নির্মাণের ফলে একসময়ের ‘মঙ্গাপ্রবণ’ এ এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা। সেতুর সুবিধাভোগী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা নদীর এক পাশে রংপুর, আরেক পাশে লালমনিরহাট জেলা। সে জন্য লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ চারটি উপজেলার লোকজনকে রংপুরসহ সারাদেশে যাতায়াত করতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ঘুরতে হতো। এ অবস্থায় তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতুর স্বপ্ন সেখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের। সেই স্বপ্ন সত্যি হয় রোববার সকালে। এর আগে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগের এ জনসভা থেকে সেতুর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিকে নবনির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু এলাকায় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ ও রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই পাশে ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ উল্লেখ করে লাগানো হয়েছে ফলক। লাল-সাদা রঙে সজ্জিত সেতুর ওপর উড়ছে রঙিন পতাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সেতুর আশপাশের এলাকাজুড়ে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনও। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে সেতুর উত্তরপ্রান্তে তৈরী করা হয় বিশাল প্যান্ডেল। নতুন এই সেতুর উদ্বোধন বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, সেতুটি নির্মিত হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরন হয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে এটি বিবেচিত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর উদ্যোগ ছাড়া এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো না। এই সেতু নির্মাণের ফলে রংপুর ও লালমনিরহাটের মধ্যকার যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি এমজি মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলনসহ কয়েক হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রবিবার সন্ধার আগে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ যোগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলুর সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কও সিদ্দিক শ্যামল, অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান প্রমুখ। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পর তাকে আবার পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির বহু চেষ্টাই করেছে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি। আর এর নেপথ্যে ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনিই প্রথম বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন। তার অবর্তমানেও দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানসহ দলীয় নেতারা বহুচেষ্টা করছে। নিচে স্বাধীনতাবিরোধী রাজত্ব কায়েম করতে বিএনপির উল্লেখযোগ্য ১০টি প্রচেষ্টা তুলে ধরা হলো- ন্যাক্কারজনক ১০ প্রচেষ্টার মধ্যে প্রথম প্রচেষ্ট হলো, স্বাধীনতা পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অনুমতি প্রদান করা হয়। দ্বিতীয়ত, স্বীকৃত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়। তৃতীয়ত, জিয়ার শাসনামলে ১৯টি ক্যু হয় এবং বিনা বিচারে কয়েক হাজার দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়। চতুর্থত, যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয় হয়। যাতে দেশকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়। পঞ্চমত, হাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান। সেখান থেকেই দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করতেন তিনি। ষষ্ঠত, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে চিরতরে স্বাধীনতাকে হরণ করা। সপ্তমত, বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের অবাধ উত্থান ঘটে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা করে জেএমবি। অষ্টমত, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি আমলে সারাদেশে জঙ্গি হামলা হয় ৯৮টি। নবমত, শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে। দশমত, ২০১৩ থেকে ১৫ সালে আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে ৫০০- এর বেশি মানুষকে হত্যা করে। যদিও তাদের সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং দেশের মানুষ বিএনপির অসৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জনগণ যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রস্তুত। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার নামে সরকারের তাবেদারি করায় তারেক রহমানের হুমকিতে অসুস্থ হওয়ার ভান করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার তৈরির মূল চালিকাশক্তিখ্যাত বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী। ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার অন্তিম মুহূর্তে তারেক রহমানের অর্থের প্রলোভন এবং হত্যার হুমকির মুখে সরে দাঁড়ালেন বি. চৌধুরী। এদিকে বি. চৌধুরীর শেষ সময়ে পিছুটান দেওয়ায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের। লন্ডন বিএনপি নেতা আবদুল মালেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবরে জানা যায়, বিএনপি বিগত ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি অথবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নামের কোনো রাজনৈতিক জোটকে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল সাজিয়ে নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা করছে সরকার বলেই তারেকের ধারণা। কারণ বর্তমান বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অবস্থান তৃতীয় সারির রাজনৈতিক দলের মতো হয়েছে। নেতা-কর্মীহীন এই দুটি দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অতীত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে জনগণ এই দুই দলকে বিশ্বাস করে না। তাই দল দুটো নির্বাচন নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় তাই নির্বাচন বানচাল করে তৃতীয় শক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক পাঁয়তারা করছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে টেলিফোন করে বি. চৌধুরী ও ড. কামালের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে সরকারের নতুন সাজানো খেলা আখ্যায়িত করে এটি থেকে দূরে থাকার জন্য বিএনপির সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরীকে সরে দাঁড়াতে বলেন তারেক। কিন্তু তারেক রহমানের এই অন্যায় আদেশকে অমান্য করেই ড. কামালের হাত ধরে পাঁতানো প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বি. চৌধুরী। গণতন্ত্র রক্ষা, দেশের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা এবং সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের নামে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন বি. চৌধুরী। সরকারের টাকা খেয়ে গণতন্ত্র রক্ষার নামে পকেট ভর্তি করার নোংরা পাঁয়তারা বন্ধ করে লাইনে আসার জন্য বি. চৌধুরীকে দ্বিগুণ নগদ অর্থ প্রদান, বিএনপিতে ফিরে আসা এবং বিদেশ সফরের যাবতীয় খরচ বহন করারও অফার দেন তারেক। কিন্তু তারেক রহমানের এমন আকাশ-কুসুম অফার অবজ্ঞা করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন বি. চৌধুরী। একপর্যায়ে রেগে গিয়ে তারেক বি. চৌধুরীকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারা এমনকি অপঘাতে মৃত্যুর হুমিক দেন। শেষ বয়সে প্রশ্নবিদ্ধ মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় রেখে মুহূর্তে ভীত হয়ে পড়েন বি. চৌধুরী। তারেকের হুমকিতে হতচকিত হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের অফারে রাজি হয়ে অসুস্থ হওয়ার ভান করে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দেন বি. চৌধুরী। সূত্র বলছে, তারেক রহমানের পরামর্শেই অনুষ্ঠানে যোগদানের মাঝপথে এসে অসুস্থতার ভান করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন বি. চৌধুরী। এদিকে শেষ সময়ে বি. চৌধুরীর পিছুটান দেওয়ায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের মাথায় বাজ পড়েছে। বি. চৌধুরী অন্তিম মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোও ড. কামালরা বিপাকে পড়েছেন। প্রতিবার বি. চৌধুরী নির্বাচন এবং জাতীয় প্রয়োজনে পিছু হটে যান বলেও অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যের নেতারা। বি. চৌধুরীর আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনীতি করার ক্ষমতা না থাকলে খামখা জাতির সাথে প্রতারণা করার কোন অর্থ হয় না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রঃ বাংলানিউজপোস্ট। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট ছাত্রলীগের হারানো সম্মান ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে একের পর এক নতুন নতুন জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে এগিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। তারই ধারাবাহিকতায় একজন হতদরিদ্র্যকে ভ্যান কেনার অর্থ দিয়েছে ছাত্রলীগ। শুধু তাই নয়, তারা এরকম মানবিক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের মধুর ক্যান্টিনে ওই হতদরিদ্র্য ব্যক্তির হাতে ভ্যান কেনার অর্থ তুলে দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। ভ্যান কেনার জন্য অর্থ দেয়া ওই ব্যক্তি সম্পর্কে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, হালিম নামের ওই ব্যক্তি মাদারীপুর জেলার শিবচরের অধিবাসী। পেশায় ভ্যানচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় ভ্যানগাড়ীতে মালামাল বহনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত মাসে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ভ্যানটি চুরি হয়ে গেলে অকুল পাথারে পড়েন তিনি। প্রিয় দুই সন্তানের লেখাপড়া, সংসার চালানো ও অন্যায় অত্যাবশ্যক খরচ চালানো সব কিছুও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অনেকের কাছে ধরনা দিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাননি। পরে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর মাধ্যমে তার অসহায়ত্বের বিষয়টি আমার নজরে এলে আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হালিম ভাইকে ছাত্রলীগের একটি ‘ভ্যানগাড়ি’ উপহার দেয়া হয়। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে ছাত্রলীগ। সবার পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ধীরে ধীরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছাত্রলীগকে ইতিবাচক ধারায় ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে বলেও জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তির পরীক্ষা চলছে। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। যা ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাড়া জাগিয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম।
fd3f0690-7119-4626-9fcf-9421ad139811
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই. সানাউল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,মরদেহের বুকে ও পিঠে ছুড়িকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান সানাউল ইসলাম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট বিএনপির দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। একাদশ নির্বাচনের আগে ছাড়া পাবেন কিনা তা নিয়ে দলের ভেতরে রয়েছে সংশয়। দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান গত ১০ বছর ধরে দেশের বাইরে লন্ডনে পলাতক। দুজনের বিরুদ্ধেই বেশ কটি দুর্নীতির মামলা চলমান। আগামী মাসেই ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেওয়া হবে। এই রায়ে তারেক রহমানের বড় ধরণের সাজা হওয়ার আশঙ্কা করছে বিএনপি। তারেকের বড় ধরণের সাজা হলে সে আর আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এ অবস্থায় দলটির প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের কেউই থাকবে না। তাই তীব্র নেতৃত্ব সংকটের কারণে বিএনপি এখন অনেকটা দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির হাল ধরতে রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধু জোবায়দা রহমান এবং শর্মিলা রহমান সিঁথি। প্রকৃতপক্ষে কে বিএনপির হাল ধরবে, এই ব্যাপার নিয়ে অনেকদিন ধরেই দলের মধ্যে একধরণের অন্তঃকোন্দল চলে আসছে। খালেদার পছন্দ প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে। খালেদা চায় শর্মিলা বিএনপির নেতৃত্বে আসুক। জোবায়দা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। তিনি বর্তমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা নিষ্পত্তি না হলে তিনি দেশে ফিরবেন না বলে জানা গেছে। কারণ দেশে ফিরলে তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা আছে। জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় খালেদার তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের পছন্দ তারেক জিয়ার স্ত্রী জোবায়দাকে। ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির কারণে জোবায়দা রহমানকেই প্রথম পছন্দে রেখেছে তারা। তিনি রাজনীতিতে এলে বিএনপির ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে বলে মত জ্যেষ্ঠ নেতাদের। শুধু জোবায়দাই নয় শর্মিলা রহমান সিঁথি রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহ না দেখালেও সময়ের প্রয়োজনে দলের নানা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে শর্মিলা লন্ডন থেকে দেশে আসা, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকবার কারাগারে সাক্ষাৎ, খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে আলোচনাসহ তার নানা কর্মকাণ্ড ওই সম্ভাবনা জোরালো করেছে। শর্মিলার এমন কর্মকান্ডে খালেদা তার প্রতি সন্তুষ্ট। শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বে কে আসছে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের মধ্যে। খালেদার পছন্দ জয়ী হবে না কি নেতাকর্মীদের পছন্দ জয়ী হবে তা দেখতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি ইসলামিক দলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নিজেদের অসহায়ত্ব ও দুর্বলতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। এত টাকা খরচ করে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করে, আইনজীবী নিয়োগ করেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় দলটির নেতা-কর্মীরাও বিষয়টিকে ন্যায্য ও আইনের বিষয় ভেবে মুক্তি আন্দোলন থেকে বিরত থাকছে। প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় হট্টগোল করলে দেশবাসীর কাছে বিএনপি আইনের অশ্রদ্ধাকারী দল হিসেবে পরিচিত হবে। যেটি দলটির জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। তাই দেশে অবস্থান করা বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে মৌখিক বক্তব্য দিয়ে দায় সারছেন। এছাড়া অতীতে আন্দোলন সংগ্রাম করা বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোন রকম আইনী সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দেয়নি দলটি। তাই এখন আন্দোলন সংগ্রামের নাম শুনলে ভয়ে মুষড়ে যান বিএনপির কর্মীরা। বার বার মাঠে নেমে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করার আদেশ দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মুখের কথায় আর বিশ্বাস করে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এছাড়া আন্দোলনে কোনো রসদ দিতে চান না বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাই আন্দোলন সংগ্রামের ডাক আসলে দলটির তৃণমূল কর্মীরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে পালিয়ে বেড়ান। ঘটনার সত্যতা বুঝতে পেরে তাই ১৯ সেপ্টেম্বরের সেই অনুষ্ঠানে সরকারকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে গায়েবী নালিশ দেন মির্জা ফখরুল। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত রিজভীপন্থী একাধিক নেতারা গোপনে হাসাহাসিতে মেতে উঠেন। বিষয়টি মির্জা ফখরুল লক্ষ্য করে তাদের মৌখিকভাবে শায়েস্তা করেন। বিষয়টি রিজভী আহমেদের মুখ দিয়ে তারেক রহমানের কানে যাওয়া মাত্রই পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পল্টন থানা বিএনপির সহ-সভাপতির বরাতে জানা যায়, অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্র একটি কল আসে মির্জা ফখরুলের মোবাইলে। নাম্বার দেখেই ঘাবড়ে যান মির্জা সাহেব। এসময় তার কপাল দিয়ে ঘাম পড়তে শুরু করে। বুঝতে আমার বাকি ছিল না যে লন্ডন থেকে মির্জা সাহেবকে তারেক স্যার ফোন দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তার অনুমতি ছাড়া উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে গায়েবী নালিশ করার অধিকার কে দিয়েছে, তারেক রহমানের এমন প্রশ্নে বিব্রত হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। তারেক স্যারের মতে, গায়েবী নালিশ করা মানে বিএনপি পরনির্ভরশীল দল। বিএনপি উপায়হীনদের দল। বিএনপিকে এভাবে জনসম্মুখে ছোট করার অধিকার কারো নেই। মির্জা ফখরুলকে এসব বুদ্ধি-বিবেকহীন কাজ না করে মাঠে নেমে আন্দোলন করে জেলে যাওয়ার সাহস দেখানোর চ্যালেঞ্জ দেন তারেক। আর না পারলে মির্জা ফখরুলকে পদত্যাগ করে গ্রামে গিয়ে মসজিদ-মক্তবে মাস্টারি করার পরামর্শ দেন তারেক। বিএনপি তার বাবার সম্পত্তি না, যে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবেন বলে রাগান্বিত হয়ে ফোন কেটে দেন তারেক রহমান। এসময় মির্জা ফখরুলকে বেশ চিন্তিত এবং আবেগতাড়িত দেখাচ্ছিল। শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন : সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট নয়পল্টন বিএনপির পার্টি অফিস সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও জাতিসংঘের সহায়তা নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের পক্ষে ছিলেন না বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা। বিশেষ করে মওদুদ আহমেদ, রিজভী আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, সোহেলসহ একাধিক নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ততটা চিন্তিত ছিলেন না। তাদের মতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রের মত ব্যয়বহুল দেশে গিয়ে নালিশ করে আসলে কোন লাভ হবে না। তারা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দেশ নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না। সুতরাং মির্জা ফখরুলের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা টাকা নষ্ট করা ছাড়া কিছুই না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মির্জা ফখরুলকে পাঠাতে হলে অনেকগুলো টাকা খরচ করতে হবে। এই দুঃসময়ে কে এত টাকা দিবে? সিনিয়র নেতাদের এমন অগণতান্ত্রিক এবং নিষ্ঠুর আচরণে এক সময় ভেঙ্গে পড়েছিলেন মির্জা ফখরুল। অবশেষে তারেক রহমানের মাধ্যমে বিএনপির ব্যাংকখ্যাত তাবিথ আউয়ালকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হন মির্জা ফখরুল। তবে তাবিথ আউয়ালের শর্ত ছিল আগামী নির্বাচনে তাকে স্বল্পমূল্যে টিকিট দিতে হবে। সব দেনা-পাওনা মিটিয়ে অবশেষে জাতিসংঘ সফরের নামে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নালিশ দেন মির্জা ফখরুল। যেকোন উপায়ে তিনি বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিএনপিকে বসানোর গোঁ ধরে বসেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি-নির্ধারকরা খালেদা জিয়াকে দুর্নীতিতে জড়িত, অগণতান্ত্রিক নেত্রী এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের মাতা হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আস্থাশীল এবং বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নে মুগ্ধ বলেও সাফ জানিয়ে দেয়। তাদের মতে বিএনপি ভঙ্গুর একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটির দেশপ্রেম নির্ভর কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। বিএনপি বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের পকেট সংগঠন। এই দলে কোন রকম গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ নেই। বিএনপি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের সরাসরি মদদ দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সরাসরি সহায়তায় ধর্মের নামে বাংলাদেশে মুক্তমনা ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের হত্যা করা হয়। সুতরাং একটি অগণতান্ত্রিক ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতা এবং দুর্নীতিতে ভরা দলকে কোনভাবেই সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপর পূর্ণ আস্থাশীল। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি না করে দেওয়ায় মর্মাহত ও হতাশ হয়ে পড়েছেন মির্জা ফখরুলপন্থী বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা না হলে বিএনপি তো এতিম হয়ে যাবে সেটি ভেবেই হাতাশার সাগরে ডুবছে দলটি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। জোটবদ্ধ হয়ে কোনো কার্যক্রমের আগেই ভাঙ্গনের সুর যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায়। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সভা সমাবেশে দেখা যাচ্ছে না যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, শুধু জাতীয় ঐক্যের সঙ্গেই নয়, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন বি. চৌধুরী। ড. কামাল হোসেন ও আ স ম রব সহ জাতীয় ঐক্যের অন্যান্য নেতারা আক্রমণাত্মকভাবে সরকার বিরোধী কর্মসূচি পালনের পক্ষে এবং বিএনপির সাথে গিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে চায়। কিন্তু বি. চৌধুরী আক্রমণাত্মক কর্মসূচিতে রাজি নন। এ কারণে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সাথে মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে বি. চৌধুরীর। গত শনিবার প্রেসক্লাবে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন বি. চৌধুরী। তার অনুপস্থিতেই সংবাদ সম্মেলন করেন ড. কামাল ও আ স ম রব সহ অন্যান্যরা। এরপর ঐক্যের একাধিক অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বি. চৌধুরী। সর্বশেষ মঙ্গলবার যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলনেও অনুপস্থিত ছিলেন বি. চৌধুরী। এ নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি জোট ছাড়ছেন বি. চৌধুরী। আবার শোনা যাচ্ছে বি. চৌধুরীর নতুন জোট গঠনের কথা। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীকে যেভাবে বঙ্গভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাতে বিএনপির প্রতি তার রাগ-ক্ষোভ থাকা খুবই স্বাভাবিক। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে যুক্ত করার জন্য যে বাড়াবাড়ি করছেন তা বি. চৌধুরীর ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে গতকালের বৈঠকেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। ড. কামাল ও রব বিএনপির প্রতি দুর্বলতা এবং জাতীয় ঐক্যে দলটিকে নিতে তাদের উদগ্রীব মনোভাব দেখেই বি. চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যক্রম থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে ফেলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিকল্প ধারার এক নেতা জানায়, সরকার বিরোধী কর্মসূচি, বিএনপিকে জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়ায় নেওয়া না নেওয়া নিয়ে ড. কামাল ও আ স ম রব সাথে দ্বন্দ দেখা দিয়েছে বি. চৌধুরীর। শনিবার প্রেসক্লাবে যে কর্মসূচী দেওয়া হয়েছে জাতীয় ঐক্য থেকে সেখানেও অসন্তোষ রয়েছে বি. চৌধুরীর। তাই জাতীয় ঐক্যে ড. কামাল ও আ স ম রব থাকলে তিনি সে ঐক্যে থাকবেন না বলে জানান । সূত্রঃ অদ্বিতীয় বাংলা ডটকম। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট আগামী অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তাই আসন্ন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খালেদার মুক্তি আন্দোলন বাদ দিয়ে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন নেতারা। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ নিজ পক্ষে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছেন তারা। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করে তারপর তাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন করার পক্ষে ছিলো। তবে, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করার কথা বিএনপি বললেও নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই খালেদার কথা ভুলে নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। বর্তমানে তারা খালেদার মুক্তির চেয়ে নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দেশব্যপী চালানো জরিপ এবং পঞ্চম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে আসনগুলোতে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। লন্ডন ও গুলশান কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে বিএনপি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কোনো নেতা নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচনের আগে খালেদার মুক্তি করা সম্ভব হবে না, তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আগ্রহী দলের সমক পর্যায়ের নেতা। সে লক্ষ্যেই যেসব আসনে বড় ধরনের কোনো ঝামেলা নেই সেখানে একক প্রার্থীর একটি তালিকা করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন ঘিরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একাধিক জরিপ চালিয়েছেন। জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থী, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ফল এবং প্রার্থীর রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে সবুজ সংকেতও দেয়া হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরই খালেদাকে মুক্ত করতে বার বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও ব্যার্থ হয়েছে। নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে কারাবন্দি খালেদাকে মুক্তি করে তার নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলে আসছিল নেতাকর্মীরা। কিন্তু এখন সেই নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জানা যায়, তার লেখা বইটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর অ্যামাজনে উন্মুক্ত করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বইটি প্রকাশের নেপথ্যের সব খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতার পক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে অবশেষে ষড়যন্ত্রের ঝাঁপি খুলে দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা বইটির নাম- ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডেমোক্রেসি’। বইয়ের শিরোনামটির বাংলা অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায়- ‘আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বপ্নভঙ্গ’। সরকারের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাইটি বাজারে ছেড়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তিনি। বিদেশে অবস্থানরত এসকে সিনহাকে রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি-জামায়াতের ‘বি টিম’ বলে পরিচিত সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্থান হওয়া তৃতীয় শক্তি। যেকোন মূল্যে আওয়ামী লীগের সরকারকে উৎখাত করে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাতে দেশে-বিদেশে তৎপর তৃতীয় শক্তির একজন মুরব্বি নবেল লরিয়েটসহ সুশীল সমাজের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা। তারা পর্দার অন্তরালে যে অপ-তৎপরতা চালাচ্ছেন তারই নীল নকশার অংশ হলো সিনহার লেখা বই। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের পক্ষের তৃতীয় শক্তির সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার যোগাযোগ হয় সুদূর আমেরিকায়। আমেরিকায় অবস্থান করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের ছক কষছে রাজনৈতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ হওয়া সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবী পরিচিত তৃতীয় শক্তি। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যাতে ফের ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য বিরাট অংকের ডলার ডিল হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বক্তব্য রাখবেন, সরকার বিরোধী অপ্রচারের অংশ হিসাবে তার লেখা একটি বই বাজারে ছেড়েছেন বিদেশের মাটিতে অবস্থানরত এসকে সিনহা। বিদেশের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার বই ও বক্তব্য ভাল করে কভারেজ দেয়ানোর জন্য এই ডলারের ফান্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে তার ঘনিষ্ঠজন পরিচিত নিকটতম বিচারপতি, খ্যাতনামা আইনজীবী, সুশীল সমাজের কথিত বুদ্ধিজীবীসহ সরকারবিরোধী জোট। তার ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত বিচারপতিদের মধ্যেও কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এসকে সিনহা। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী, রাজনীতিক, সুশীল সমাজ ও স্বাধীনতার বিপক্ষের অশুভ শক্তি বলে পরিচিতদের সঙ্গে কানেকশন নিয়ে ষড়যন্ত্রের যে ছক কষা হয়েছে সেই বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আমেরিকার নিউইয়র্কে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেমের ভাই মীর মামুনের সঙ্গে। এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে তার সঙ্গে লন্ডনে গোপন বৈঠক হয়েছিল যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) পরিবারের। সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে গোপন বৈঠকটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সাকা চৌধুরীকে রক্ষা করা সম্ভবপর হয়নি। সাকা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতির গোপন বৈঠক নিয়ে তখন ব্যাপক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনাটি সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে পর্যন্ত গড়ায়। এখন আবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যাতে ফের ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীসহ সরকার বিরোধী খ্যাতনামা আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন এসকে সিনহা। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জাতীয় ঐক্য গঠনে জামায়াত প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ালেও একের পর এক নতুন নতুন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ঐক্যে আসা দলগুলো। যদিও এরইমধ্যে বিবিধি হিসেব-নিকেশে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে স্বপ্ন। তবে জাতীয় ঐক্যের সুরাহা না হওয়ার পেছনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐক্য বিষয়ক যৌথ ঘোষণা পত্রের প্রাথমিক বক্তব্য গোপনে পরিবর্তন করা। এ নিয়ে জাতীয় ঐক্যে আসা দলগুলোর মধ্যে দানা বেঁধেছে বিরোধীতা ও সংশয়। সবদিক বিবেচনা করে এরইমধ্যে সরে গেছেন বি. চৌধুরী। সূত্র বলছে, বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ায় প্রধান দুটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের নানা কৌশল বিষয়ে অবগত হয়ে বি. চৌধুরী অসুস্থতার কথা বলে জাতীয় ঐক্যের কর্মসূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বলেও পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে জাননি। বিএনপি নেতারাও এ বিষয়ে কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। তবে মূল সত্য উচ্চারণ করেননি জাতীয় ঐক্যে আসা কোনো নেতাই। এর মধ্যে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী আগেই বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য রেখে বিএনপির সঙ্গে কোনও ঐক্য করবে না যুক্তফ্রন্ট। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তৈরি হয়েছে নতুন আরও একটি সমস্যা। যৌথ ঘোষণার প্রাথমিক বক্তব্যে কৌশল এবং গোপনে একটি পরিবর্তন করা হয়। সূত্র জানায়, ওইদিন দুপুরে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ের বৈঠকে চারজনের একটি টিম যৌথঘোষণার ড্রাফট চূড়ান্ত করে। ওই ঘোষণাপত্রের ভূমিকার একপর্যায়ে বলা হয়, ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, সমাজ শক্তি ও নাগরিক সমাজসহ জনগণকে সুসংগঠিত করে আমরা জাতীয় ঐক্যে যাব।’ সে দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে বিকল্প ধারার সভাপতি বি. চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলমের মেইল থেকে ঘোষণাপত্রটি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। তবে ওই লাইনটি পরিবর্তিত হয়, সেখানে লেখা হয়, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকল স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে জাতীয় ঐক হবে।’ আর এখানেই চরমভাবে থমকে গেছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। যুক্তফ্রন্টের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বি. চৌধুরীর না যাওয়া, বক্তব্যের রাতারাতি পরিবর্তন নিয় যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে জাতীয় ঐক্য আশা করা বৃথা। যদিও ঐক্য বিষয়ে সরব থাকতে ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সেখানে কী বক্তব্য আসা দরকার, এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে যুক্তফ্রন্টের নেতারা আলোচনা করবেন। তাতে কোনো বিশেষ বার্তা আসবে কিনা বলা মুশকিল।
2ec79d11-617a-48bb-9c14-decf456e3fff
কসবা সংবাদদাতা, সময়নিউজবিডি হরষপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সভায় অ্যাড. তানভীর ভূইয়াঃ আধুনিক বিজয়নগরের স্বপ্ন দ্রষ্ট্রা মোকতাদির চৌধুরীকে পূনরায় নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচন কেন্দ্রিক সাংগঠনিক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট ড. কামালের চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠন করে এরই মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছেন ড. কামাল। বিএনপির বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তিনি জাতীয় ঐক্যকে দাঁড় করিয়েছেন। ড. কামালের হঠাৎ উত্থানে বিএনপির নেতারা অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের পিছু পিছু ঘুরছেন। এক সময়ের মন্ত্রী-এমপিরা পিছু পিছু ঘোরায় নিজেকে অনেকটা ক্ষমতাবান রাজা-বাদশা ভাবা শুরু করছেন ড. কামাল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেকে ত্রাতা দাবি করে ড. কামাল এরই মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ছোট-বড় অনেক দলকে প্রভাবিত করেছেন। ড. কামালের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য এরই মধ্যে অনেক গোপন পরিকল্পনা করে রেখেছে বিএনপি। ড. কামালকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করার জন্য দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। এদিকে এরশাদও ড. কামালকে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সময় সুযোগ পেলে ড. কামালের হাত ধরবেন এরশাদ। বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদরা যখন সম্মান করছেন তখন হঠাৎ করে তাকে ভাড়াটে নেতা বলায় ব্যাপক সম্মানহানি হয়েছে বলেও আশাহত হয়েছেন ড. কামাল। এদিকে মনের শোককে শক্তিকে রূপান্তরিত করে রাজনীতিতে চমক দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন ড. কামাল বলেও তার চেম্বার সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে ড. কামাল হোসেনকে কটাক্ষ করার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, আসলেই ড. কামাল ভাড়াটে নেতা। সারা বছর খবর থাকে না ওনার, অথচ নির্বাচন আসলেই গর্ত থেকে মাথা বের করেন। এক্ষেত্রে ড. কামালকে মৌসুমী রাজনীতিবিদ বলা যেতে পারে। উনি নাকি নেতাদের রাজনীতি শেখাতে চেয়েছেন। বিষয়টি হাস্যকর। রাজনীতি মাঠে শিখতে হয়, বেডরুমে বসে নয়। শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন : সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট সূত্র বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ফখরুলপন্থী নেতারা দুর্নীতিবাজ খালেদা-তারেককে মাইনাস করে বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও কিছু দিনের মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফখরুলপন্থী নেতারা বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীর নেতৃত্বের কথা আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিবেন বলেও গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। জানা যায়, দুর্নীতিবাজ নেতা খালেদা-তারেক জিয়াকে বাদ দিয়েই দল পরিচালনার কথা ভাবছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও বর্ণচোরা রাজনৈতিক নেতারা গণতন্ত্রের ঐক্যের নামে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তাও বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা। তাই নতুন করে বি. চৌধুরী আর মাহি বি চৌধুরীকে দল পরিচালনার মাধ্যমে একটি সুযোগ দিতে চান জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এই জন্য অতি গোপনে কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় কার্যালয়ে দুইটি বিশেষ কক্ষ পর্যন্ত তৈরি করেছেন বলেও জানা গেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিশ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতা এই গোপন পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্যের নামে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রথম পর্বের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচিত্র এ দেশ স্বাধীনতাবিরোধীদের লালনপালনকারী, বঙ্গবন্ধু খুনিদের সুযোগ-সুবিধাদানকারী, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করেন যারা এবং বর্ণচোরা ১/১১ সরকারের কুশীলবরা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে একই মঞ্চে বসে নাটক করেছেন। তারা একই মঞ্চে বসে গণতন্ত্রের নামে নতুন কিছু ঘোষণা দিয়েছেন যা রাজাকারদের দাবির সাথে মিলে যায়। এই গণতন্ত্রের কথা বলেই এক-এগারো সৃষ্টি করা হয়েছিল। ১-১১ কুশীলবরা এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মানুষ চিনে ও জানে। তারা এক-এগারো সৃষ্টি করে মূলত বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের জনগণের কাছে পরাস্ত তারা হয়েছিল। তাই হত্যা চেষ্টাকারী-বর্ণচোরা নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীকেই আবার নেতৃত্বে নিয়ে আসবেন। জানা যায়, দুর্নীতিবাজ, দণ্ডিত ব্যক্তির পক্ষে জাতীয় ঐক্যের নামে মাঠে নেমেছেন ১-১১ কুশীলবরা। জুডিশিয়াল ক্যু ষড়যন্ত্রের মঞ্চে যারা ছিলেন, তারা খালেদা-তারেক রহমানের দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে মাঠে নেমেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং খুনের কারখানা হাওয়া ভবন তৈরি করার জন্য নতুন করে একসাথে হয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম’ বই লিখে ১-১১ কুশীলবদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন যা আন্তর্জাতিকভাবে দলটির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালেদা-তারেক রহমানের প্ররোচনায় তিনি যে জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন, সেটা পারেননি বলে ওনার হার্টটাই ব্রোকেন হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই ব্রোকেন হার্ট নিয়েই তিনি এ বইটা লিখেছেন বলেও রসিকতা করছেন তারা। অবশেষে বাধ্য হয়ে খালেদা-তারেক জিয়ার দেশবিরোধী ও দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে এবার অতিষ্ঠ হয়ে দল থেকে তারেকের অস্তিত্ব মুছে ফেলার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রসঙ্গত, নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে ১-১১ কুশীলবরা নির্বাচনকে শুধু বিলম্বিতই করতে চায় না, নির্বাচনকে ধ্বংস ও নস্যাৎ করতে চায়। এটি উপলব্ধি করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা খালেদা-তারেককে বাদ দিয়ে ফখরুলপন্থী নেতারা বি. চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি চৌধুরীর হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন : সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা-কর্মী তথা দেশবাসীর সামনে অভিযোগ দিতে ২৭ সেপ্টেম্বর জনসভার আহ্বান করেছিল বিএনপি। সূত্র বলছে, মূলত নিজেদের দৈন্যদশা তুলে ধরতে এবং দলীয় ভঙ্গুর অবস্থা ঢাকতে সরকারকে দায়ী করে নালিশের জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারকে নিজেদের দলীয় অবস্থা তুলে ধরে আগামীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়ে সংকেত দিতেই এই আয়োজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলীয় সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বে দুর্বলতা ও সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে জনসভার তারিখ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বিএনপি। বিএনপির এমন পলায়নপর রাজনীতি ও সিদ্ধান্তহীনতার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, বিএনপির করুণদশা দেখে সত্যি দুঃখ হয়। বিএনপির মতো একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল শুধু চুরি-বাটপারি, সীমাহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার কারণে আজ ডাস্টবিনে জায়গা হয়েছে। বিএনপির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা। আজকের দিনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বিভক্ত হওয়া ছোট ছোট উপদলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন ও আইনী লড়াই চালাতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। সামান্য একটি জনসভা করতেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না দলটির নেতারা। অথচ ক্ষমতায় থাকতে দিনকে রাত করেছেন তারা। কেউ কারো আদেশ মানেন না। আমার ধারণা এই দল অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এদিকে বিএনপির এমন হাস্যকর রাজনীতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, যে দল একটি জনসভার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তারা আবার দেশ শাসনের স্বপ্ন দেখে। বিএনপি এখন জোকারদের দল। দেশবাসীর মনোরঞ্জন করাই তাদের কাজ। আন্দোলন নেই, গঠনমূলক আলোচনাও নেই। মা বলে এক কথা, ছেলে বলে আরেক কথা। একজন আন্দোলন চান, আরেকজন সমঝোতা করে পিঠ বাঁচাতে চান। আজব সব দেউলিয়া ও অবাঞ্ছিত নেতাদের বৃদ্ধাশ্রম হলো বিএনপি। এই দল কখনই জনগণের পক্ষে কথা বলেনি। এরা দেশকে বিক্রিসহ জনগণকে জিম্মি করে হলেও স্বার্থ উদ্ধারে পিছপা হবে না। সুতরাং বিএনপির ব্যাপারে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। সুধী সমাবেশে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসিঃ আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ও জনগনের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী সময়নিউজবিডি রিপোর্ট সোমবার (২৪ সেপ বিকেলে জেলার সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে এক সুধী সমাবেশে মোকতাদির চৌধুরী এমপির নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন ওই নেতারা। স্থানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নবনির্মিত সড়কের উদ্বোধন উপলক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিনারা আলম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাউসার আহমেদ ও যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহনূর ইসলাম। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন বদলি ও টেন্ডার থেকে টাকা নেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকেও টাকা নেন, একটা লোক বলতে পারবে না যে মেধা ও পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। উনি টাকা ছাড়া কিছুই বুজেন না।
49240e2b-bc4c-4103-8103-b29e4db26216
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা এলাকায় ভারতীয় গরুর ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে চোরাকারবারী, জন প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে দফায় দফায় কয়েক শতাধিক ভারতীয় গরু আটক করেছে বিজিবি। ফলে অনেকটা ভেঙ্গে যায় ভারতীয় গরু ব্যবসা নিয়ে তৈরী সিন্ডিকেটটি। এতে দহগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্ত গুলোতে হাজার হাজার ভারতীয় গরু প্রবেশের অপেক্ষায়। ভারতীয় গরু ব্যবসা নিয়ে একটি সমঝোতা করতে মঙ্গলবার রাতে পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী এলাকায় ওই সিন্ডিকেটের একটি বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। যে কারণে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে। এ ছাড়া দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারতীয় গরুর কারণে নিজেদের পালিত গরু বিক্রি করতে পারছে না তারা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ছিটমহল দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতায় দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। চোরাই ভাবে আসা গরু গুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৫ শত টাকা মূল্যে নিলামের কাগজ সংগ্রহ করে বৈধতা পায়। যাকে গরু করিডোর বলে। দহগ্রাম ইউনিয়ন থেকে প্রতি সপ্তাহে ৬০ টি গরু আসার অনুমতি আছে। দহগ্রামবাসীকে গরু বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিরিয়াল নিতে হয়। কিন্তু ওই ইউনিয়নের সীমান্ত গুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আর এ গরু ব্যবসাকে নিয়ে গড়ে উঠে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। ফলে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারতীয় গরুর কারণে নিজেদের পালিত গরু বিক্রি করতে পারছেন না তারা। এতে তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এক জোড়া ভারতীয় গরু বাংলাদেশের হাটে বিক্রি করে সন্ধ্যায় গরু ব্যবসায়ীদের ওই সিন্ডিকেটকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। এ সিন্ডিকেট দিয়ে চলছে জমজমাট ভারতীয় গরুর ব্যবসা। প্রতিদিন ওই সিন্ডিকেটের আয় লক্ষ লক্ষ টাকা। ওই টাকার ভাগ রাতেই নাইনম্যান রিমন মাইনুলের মাধ্যমে চলে যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার কাছে। এ ভাগ নিয়ে গত ১৫ দিন ধরে বর্তমান দহগ্রাম ইউ-পি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও প্রাক্তন ইউ-পি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সমর্থকদের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে বিজিবি’র হাতে আটকা পড়ে শত শত ভারতীয় গরু। ফলে কয়েক দিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতীয় গরু ব্যবসা নিয়ে এ দ্বন্দ্ব নিরসনে মঙ্গলবার রাতে পানবাড়ী এলাকায় একটি সমঝোতা বৈঠক বসে। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হওয়ায় উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোনো মুর্হুত্বে বিদ্যামান গরু ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশস্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের আঁধারে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে টাকার বিনিময়ে এসব গরুকে বৈধতা দিয়ে সিরিয়াল দেন। ভারতীয় গরু প্রবেশের ফলে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতাবাসী নিজের পালিত গরু বিক্রি করতে পারছে না। এ ছাড়া ভারতীয় গরু প্রবেশের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে দেশীয় গরু খামার মালিকরা। দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেনসহ একটি সিন্ডিকেট ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতে তৎপর হয়েছে উঠেছে। শুনেছি মঙ্গলবার রাতে পানবাড়ী এলাকায় ওই সিন্ডিকেটের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বর্তমান চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে আমার দ্বন্দ্ব নয়, আমি আওয়ামীলীগের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা এলাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে অবৈধ ভারতীয় গরুর ব্যবসার বিরোধীতা করছি। দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন গরু ব্যবসায়ীদের ওই সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বর্তমানে ভারতীয় গরু আসছে না। গরু ব্যবসা নিয়ে সাবেক ইউ-পি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সাথে আমার দ্বন্দ্বের যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। কোনো গরুর সিরিয়াল টাকায় বিক্রিও হয় না। পাটগ্রাম থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আপাতত ভারতীয় গরু আসছে না। কেউ যদি ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নষ্ট করতে চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার লতাবর এলাকায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে ভেলাগুলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির আলীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি ও রাস্তাকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২১ মে লতাবর এলাকার লুৎফর রহমানের পূত্র ফারুক ও শাহিনদের সাথে একই এলাকার আব্দুর রহমানের পূত্র জাহাঙ্গির সফিকুল রহমানের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ফারুক ও শাহিনদের হামলায় জাহাঙ্গির শফিকুল রহমান মারা যায়। এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই মামলার স্বাক্ষী চলছে। জাহাঙ্গির শফিকুল রহমানের পুত্র সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ, ফারুর ও শাহিনরা মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী না দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি জানতে বুধবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির আলী কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে তার উপর হামলা চালায় ফারুক ও শাহিনের লোকজন। এ সময় ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির আলী, তার ছোট ভাই কুদরত আলী, একই এলাকার মনছুর আলী, সুরুজ আলী, কাজিমুদ্দিন, সাজ্জাদ, সোহেব, সাদ, রতন, আজিজুল, তাসাবুল, ফুয়াদ, আশরাফুল, কালাম ও সফিকুলসহ উভয় পক্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার হয়ে হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কালিগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম।
550d4ff2-7254-421f-a860-9cd39e1c67d8
সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম রবের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রংপুরের একটি মানহানি মামলায় তার (মইনুল) বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) ছিল। সেই ওয়ারেন্টেই উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় আছেন ব্যরিস্টার মইনুল। রবসহ ফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে বৈঠকে তার নিয়মিত যাতায়াত। সম্প্রতি এক টেলিভিশন আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকে সমালোচনার মুখে রয়েছেন মইনুল। এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও মানহানির অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মইনুল কয়েকটি মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও রংপুরেরটিতে জামিন ছিল না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান। রংপুরের মামলাটি হয় সোমবার বিকালে; মানহানির অভিযোগে মামলাটি করেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের কর্মী মিলি মায়া। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করে মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনেও মইনুলের কটূক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসে। তখন শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আপনারা প্রতিবাদ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার করবে। আপনারা মামলা করেন, আমরা যা করার করব।” এরপর সন্ধ্যায় পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। ওই সময়ই উত্তরায় রবের বাড়িতে গিয়েছিলেন মইনুল। রাতে মইনুলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তা ধরেন তার ব্যক্তিগত সচিব রাজু আহমেদ। রাজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যার পর আ স ম রব সাহেবের বাসায় স্যার দেখা করতে যান। তখন রব সাহেব ছিলেন না। ১৫ মিনিট পর রব সাহেব আসেন বাসায়। তার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ পুরো বাসা ঘিরে ফেলে। “তারা বলে, মইনুল স্যারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। রব সাহেব পুলিশকে বলেন, ‘উনি বাসায় এসেছেন, একটু চা খেয়ে প্রয়োজনে আপনাদের সাথে চলে যাবেন’। কিন্তু পুলিশ প্রচণ্ড খারাপ আচরণ করে তর্ক-বিতর্ক করে তাকে গাড়িতে করে ডিবি অফিস নিয়ে যায়।” জরুরি অবস্থার সময় মইনুল যখন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, তখন দুই প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে মইনুল। তার ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বর্তমান সরকারে পানিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তাদের দুই ভাইয়ের বৈরী সম্পর্কের বিষয়টি আলোচিত। মইনুল ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক। একাত্তরে মইনুল পাকিস্তানি বাহিনীর ‘দালালি’ করেছেন বলে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে জানান শেখ হাসিনা। একাত্তরে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের হত্যাকাণ্ডের জন্যও মইনুলকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির জন্য মইনুল হোসেনের সমালোচনা করতে গিয়ে তাকে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর ‘দালাল’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলেকে একাত্তরে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যাকাণ্ডের জন্যও দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সৌদি আরব সফর করে ফেরা প্রধানমন্ত্রী সোমবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এলে মাসুদা ভাট্টিকে মইনুলের কটূক্তির প্রতিবিধান চান সাংবাদিকরা। তখন শেখ হাসিনা বলেন, “যে লোক একজন মহিলা সাংবাদিককে কটূক্তি করল জঘন্য ভাষায়। তার বাচনিক ভঙ্গি ছিল খুব খারাপ। তার কাছে এর বেশি কী আশা করবেন? “সে কে তা জানেন? একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দালালি করে বেড়াত। ইত্তেফাক থেকে যে সিরাজুদ্দীন হোসেনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, এর জন্য তো সেও কম দায়ী না, অন্তত আমি এতটুকু বলতে পারি।” ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক থাকার সময় ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর আলবদর ও রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সিরাজুদ্দীন হোসেনকে তার বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর আর খোঁজ মেলেনি এই বুদ্ধিজীবীর। মানিক মিয়ার ছেলে ব্যরিস্টার মইনুল জরুরি অবস্থার সময় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ছিলেন। ওই সময় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এক সময় ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মইনুল এখন নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক। বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগির পর ইত্তেফাকের মালিকানা পেয়েছেন তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তিনি শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, “সে (মইনুল) ইত্তেফাকে একটা মার্ডারও করে। নিজে মার্ডার করে নিজের ভাইকে ফাঁসানোরও একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।” মইনুল সম্পর্কে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “উনি গিয়েছিলেন ব্যারিস্টারি পড়তে। তোফাজ্জল হোসেন মানিক চাচা পাঠালেন। আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। ব্যারিস্টারি পাস করে আসার পর উনি সাহেব হয়ে গেলেন! মানিক চাচা কিন্তু খুব পান্তা ভাত খেতেন। আর উনার ছেলে আসছেন সাহেব হয়ে। বাংলাদেশি খাবার আর খেতে পারেন না, সাহেবি খাবার খেতে হবে। চাচি স্বাভাবিকভাবেই মার কাছে খুব আফসোস করে বলছেন, ‘আমি এখন কী করি, আমার ছেলে ইংরেজি খাবার খাবে। সেই যুগে একশ টাকা দিয়ে উনার জন্য ইংরেজি খাবার রান্নার জন্য বাবুর্চি রাখা হয়।” মইনুলকে ব্যঙ্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি হল ওই যে, কাক ময়ূরপুচ্ছ লাগায়ে চলে। ময়ূর হওয়ার চেষ্টা করে। উনিও বিদেশে ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়ে ইংরেজ হওয়ার চেষ্টা করেছেন। শিখেছেন খাওয়াটা ঠিকই। কিন্তু ইংরেজের ভদ্রতাটা শিখে আসেন নাই। কথা বলা শিখে আসেন নাই। বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনের নতুন জোটে সক্রিয় মইনুলের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আপনাদের মনে আছে খুনি মোশতাক একটা দল খুলেছিল, এই মইনুল হোসেন কিন্তু সেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। “এরপরে সে আবার একটি দল করে জাতির পিতার হত্যাকারী, খুনি হুদা, পাশা এদেরকে নিয়ে। তার রাজনৈতিক দলে কারা? জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিরা। তার কাছ আর কী পাবে?” মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মাসুদা ভাট্টি মানহানির মামলা করার পর তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেক্ষেত্রে আমি বলবো, আমাদের নারী সাংবাদিকরা, আপনারাই বা কী করছেন? একটা মামলা হয়েছে, আরও তো মামলা হতে পারে। আপনারা প্রতিবাদও করতে পারেন। আপনারা প্রতিবাদ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার করবে। আপনারা মামলা করেন, আমরা যা করার করব।” একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মইনুল হোসেনকে আর টেলিভিশনে ডাকব না।” তখন শেখ হাসিনা বলেন, “ডাকলেও আর আসবে কি না, সেএখন সন্দেহ আছে। সে যে এখন কোথায় চলে গেছে ইঁদুরের গর্তে, সেটা আগে দেখেন। কোন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে, আগে তাই দেখেন।” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে অস্ত্রসহ মোঃ শিপন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সোমবার দুপুরে র্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল নবীনগরের নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় সৈয়দ ভূইয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে থেকে শিপনকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে তার বসত বাড়ি থেকে বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি একনালা বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে দৈনিক অবজারভারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জেলা আয়েশা আহমেদ লিজা বাদী হয়ে সিনিয়র বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে বিকেলে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সারোয়ার-ই-আলম সাংবাদিকদের জানান, ৫০০-৫০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পরে ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপরদিকে মইনুলের একই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামালপুর ও কুড়িগ্রামে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মানহানির মামলা করা হয়েছে। তবে ঢাকা ও জামালপুরের মামলা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। আর কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হলো। রাউজানের গহিরায় তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ও সাবেক শাশুড়ির বাসায় জবাই হওয়া ফখরুল ইসলাম ( ২৮) দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। ২০ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এলাকার মানুষ রাতে রাঙ্গামাটি মহাসড়কে গহিরা চৌমুহনীতে খুনিদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে । জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্দ্ব্যায় ৬ টার দিকে রাউজান পৌরসভার গহিরা জনতা ব্যাংকের পেছনে আবু তাহের ভবনের তৃতীয় তলাস্থ প্রবাসী ফখরুল ইসলামকে ফুসলিয়ে তার তালাক দেওয়া স্ত্রী উম্মে হাবিবা ও শাশুড়ি রাশেদা আক্তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে তালাক দেওয়া স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে প্রবাসী স্বামী ফখরুল ইসলামকে গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। গলা কাটা অবস্থায় স্থানীয়রা ফখরুল ইসলামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে গহিরাস্থ জেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালের ১৯ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় । গত দুদিন চিকিৎসাধীন থাকায়স্থা সন্ধ্যায় ছটার সময়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ্ জানান শুক্রবার দুপুরের ফখরুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে, রাউজান থানায় এ ঘটনার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার সাবেক স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া, তার মাতা রাশেদা আকতার সহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে অরো অজ্ঞাত ৫জনকে আসামী করা হয়েছে । পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তার তালাক দেওয়া স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করেন। এলাকার লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, উম্মে হাবিবা মায়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রস্তুতি নিলে উম্মে হাবিবার বয়স কম হওয়ায় রাউজান উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দেয় । পরে গোপনে উম্মে হাবিবাকে ফখরুল ইসলাম বিয়ে করে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায় । ফখরুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাওয়ার পর উম্মে হাবিবা মায়া অপরজনের সাথে পালিয়ে যায় বলে দাবী করে ফখরুল ইসলামের স্বজনেরা । উম্মে হাবিবা মায়ার পরকিয়ার সংবাদ পেয়ে প্রবাসী স্বামী ফখরুল ইসলাম তার স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের সমঝোতায় তার স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে তালাক দেয় । উম্মে হাবিবার নিকাহ নামার ধার্য করা টাকা পরিশোধ করা বাবদ ফখরুল ইসলাম উম্মে হাবিবাকে চেক প্রদান করে । ব্যাংকে দেওয়া চেক বাবদ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারেনি হাবিবা । পরে উম্মে হাবিবার স্বামী হাবিবাকে তালাক দেওয়ার পর দেশে ফিরে এসে গোপনে তালাক দেওয়া স্ত্রী উম্মে হাবিবার কাছে তার মাতার ভাড়া বাসায় গেলে স্ত্রী উম্মে হাবিবা তাকে ফুসলিয়ে ঘরের শয়ন কক্ষে নিয়ে যায় । এসময় তার স্ত্রী ও শাশুড়ি ভারাটিয় সন্ত্রাসী দিয়ে ফখরুল ইসলামকে হাত পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি ভাড়া বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ফখরুল আত্মহত্যা করেছে বলে শোর চিৎকার করে । স্থানীয় লোকজন শোর চিৎকার শুনে ভাড়া বাসায় ছুটে গেলে বাসার ছাদ হতে হাত – পা বাঁধা গলাকাটা অবস্থায় ফখরুলকে উদ্ধার করে দ্রুত প্রথমে জেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুন নবী ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফখরুলের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী উম্মে হাবিবা ও শাশুড়ি রাশেদা আকতারকে করে রাউজান থানায় নিয়ে আসে । আহত ফখরুলের মা জাহানারা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল দিকে আমার ছেলেকে তার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ও শাশুড়ি ফোনে বলে তোমার পাসপোর্ট নিয়ে যাও । সে পাসপোর্ট আনতে তাদের ভাড়া বাসায় যান। পরে আমার কাছে খবর আসে আমার ছেলেকে জবেহ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুন নবী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফখরুল মারা যান। ২০ অক্টোবর শনিবার উম্মে হাবিবা মায়া ও তার মাতা রাশেদা আকতারকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে জানান পুলিশ । নিহত ফখরুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গহিরা মোবারক খীল এলাকার হালদার খাঁন চৌধুরীর বাড়ীর তাজুল ইসলামের পুত্র।
137a6881-c0ab-441b-9de2-affeb4a0b6ce
সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভায় গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন। ছবি: বাবুল তালুকদার সিলেটের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারে’ আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কামাল হোসেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠনের পর বুধবার প্রথম জনসভায় এই আহ্বান জানান তিনি। দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান কামাল। জনসভার প্রধান অতিথি কামাল বলেন, “স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হতে হলে, স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হতে হলে, ক্ষমতার মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকলকে মাঠে নামতে হবে। “আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হোন, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। বাংলাদেশের জনগণের জয় হবেই। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আবার দেশে মালিক হব, এই রাষ্ট্র আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনব।” সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠের এই জনসভার প্রধান বক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তাদের জোটের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, আমাদের লক্ষ্য মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা, আমাদের লক্ষ্য একটি কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র নির্মাণ করা। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। “আজকে সরকারের শত বাধা-প্রতিবন্ধকতার পরও সারা সিলেট থেকে মানুষ ছুটে এসেছে এই জনসভায়। তারা প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনব।” বুধবার বেলা ২টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এই সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য দুই শরিক দল জেএসডির আ স ম আবদুর রব এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করেপারেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। হজরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে জনসভায় যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। জনসভার মঞ্চের ব্যানারে লেখা ছিল ‘অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসী’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি’। মঞ্চের পশ্চিম দিকে রেজিস্ট্রারি ভবনের টানানো ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রায় বাতিলের দাবি সম্বলিত বেশি কিছু ডিজিটাল ব্যানার। জিয়াউর রহমান, সদ্য গ্রেপ্তার মইনুল হোসেন, নিখোঁজ সাবেক সাংসদ এম ইলিয়াস আলীর ছবি সম্বলিত ব্যানারও ছিল জনসভাস্থলে। জনসভায় আসা অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে যুক্ত থাকা কামাল বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী এদেশের মালিক জনগণ। জনগণকে এই মালিকানা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। যদি মালিকানা যদি পুনরুদ্ধার করতে হয় তাহলে জনগণের ঐক্য অপরিহার্য। “এজন্য ঐক্য লাগবে। দলীয় ঐক্য নয়, জাতীয় ঐক্য। তাই আজকে সবাইকে সংগঠিত হতে হবে। সকলকে এক হয়ে বলতে হবে, আমরা দেশের মালিক। আমাদেরকে মালিকানা ফিরে পেতে হলে সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। সেজন্য আমাদের এক নম্বর দাবি হল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।” এই দাবিতে গ্রামে-গ্রামে, জেলায়-জেলায় সবাইকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামাল বলেন, “এটিকে হালকাভাবে নেবেন না। এই যাত্রায় জনগণ সাড়া দিয়েছে। অবশ্যই জনগণের মালিকানা এবার ফিরে পাবে।” বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং সাজাপ্রাপ্ত সকল বন্দিকে মুক্ত করতে হবে। “এই সরকারকে বলতে চাই, তফসিল ঘোষণার পূর্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, সংসদ বাতিল করুন।” এসব দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকার নমনীয় না হওয়ায় আন্দোলন করে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা। আন্দোলনের জন্য ত্যাগ স্বীকারে সবাই প্রস্তুত কি না- ফখরুল প্রশ্ন করলে জনসভায় আগত নেতা-কর্মী-সমর্থকরা হাত তুলে একাত্মতা প্রকাশ করেন। জেএসডির সভাপতি রব বলেন, “দেশটা ডাকাতের হাতে পড়েছে। আপনারা কি মুক্তি চান? খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? গণতন্ত্র ফিরে পেতে চান? সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধু নিজেরা মাঠে নামলে হবে না, জনগণকে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। “সরকার উস্কানি দেবে, উস্কানিতে পড়বেন না। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। এই লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াই ভোটের লড়াই, এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই, এই লড়াইতে আমাদের অবশ্যই জিততে হবে।” বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি নিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ার করে রব বলেন, “আর যদি এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়, সারাদেশের মানুষ রাস্তায় নামবে।” নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, “আজ আমাদের শপথ নেওয়ার সময়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। আড়াই মাস পরে যদি ভোট হয়, এই ভোটে আমরা জিততে পারব? গতবার ভোট হয়েছিলো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তখন তো মাঠে বিপক্ষ নাই, একদল খেলেছে- ওয়াকওভার। “যদি কেউ মনে করে এবার ওয়াকওভার নিয়ে আবার ক্ষমতায় থাকবে। প্রথমেই বলতে চাই কোনো ওয়াকওভার দেওয়া হবে না। গতবার নির্বাচনের সময়ে ঘরের ভেতরে ছিলেন। এবার যদি নির্বাচন হয়, আমরা যদি নির্বাচনে অংশ নিই, ঘর থেকে বেরিয়ে কোটি কোটি জনগণ মাঠে থাকবেন, কেন্দ্রে থাকবেন। এবার জয়যুক্ত হবেন।” সরকারকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তফসিল ঘোষণার আগে অনতিবিলম্বে আমাদের সাথে কথা বলেন। আমাদের দাবি মানেন। যদি না মানেন, তাহলে কিভাবে ক্ষমতায় থেকে নামাতে হয়, সেই পথেই আমরা হাঁটব।” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লাখো লাখো মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। কেন? আমাদেরকে বাদ দিয়ে তারা আগের মতো নির্বাচনের খেলা খেলতে চায়। “সরকারকে বলছি, কেন আপনারা জনগণকে ভয় পান। ভয় পান এই জন্য যে, সিলেটের কৃতি সন্তান ইলিয়াস আলীসহ শত শত নেতা-কর্মীদের গুম করেছেন, তার জবাব দিতে হবে। এই সরকার ভয় পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ লুট করেছে, স্বর্ণ লুট করেছে, কয়লা লুট করেছে, শেয়ারবাজার লুট করেছে, তার জবাব দিতে হবে।” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “দেশে একটা স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় আছে, জোর করে তারা ক্ষমতায় আছে, জোর করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। এদেরকে অপসারণ করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। “এই ঐক্যের মাধ্যমেই সরকারকে সংলাপে আসতে বাধ্য করা হবে। সমঝোতায় আসতে হবে। যদি সমঝোতায় না আসেন, ধরে নেব আপনারা দেশে গণতন্ত্র চান না, আপনারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চান না। সেক্ষেত্রে দেশের মানুষ সময়মতো উপযুক্ত কর্মসূচি নিয়ে তার জবাব দেবে।” জনসভায় বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, ফজলুল হক আসপিয়া, এনামুল হক চৌধুরী, এম এ হক, তাহসিনা রুশদির লুনা, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আ ও ম শফিকউল্লাহ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, জিল্লুর রশীদ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাহীনুর পাশা চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ শাম্মী আখতার, কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন, দিলদার হোসেন সেলিম, জি কে গউছ, সিলেটের বিএনপি নেতা আবদুল কাহের চৌধুরী শামীম, আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, আলী আহমেদ, আজমল বখত সাদেক। জনসভায় বিকল্পধারার একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ফরহাদ হালিম ডোনার, বিলকিস জাহান শিরিন, সানাউল্লাহ মিয়া, শিরিন সুলতানা, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, শামীমুর রহমান শামীম, এমএম শাহিন, সুজাত আলী, ইশতিয়াক হোসেন, জাসাসের হেলাল খান, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। জনসভা শেষ হওয়ার পরপরই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভা শেষে নেতাদের সঙ্গে শহরের রোজ ভ্যালী হোটেলে গিয়েছিলেন মুক্তাদির। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ওসমানী বিমানন্দরে অপেক্ষারত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মুক্তাদিরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, “গত দুই দিন যাবত এই জনসভাকে কেন্দ্র করে সিলেটে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়েছে। শত বাধার পরও শান্তিপূর্ণ জনসভা শেষে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে সরকার দমনপীড়ন করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার নীল নকশা করছে।” ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী দলগুলোর নতুন জোট গঠনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন তিনি। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে নতুন নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বলেন, “যে কোনোভাবে হোক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে পিছপা হই না, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করি।” সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা চলার মধ্যেই সংসদে একথা বলেন তিনি। নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতে আন্দোলন জোরদারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে বিএনপি; এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্য এবং শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারের মন্ত্রী আ স ম রবের দল জেএসডিও রয়েছে এই জোটে। শেখ হাসিনা বলেন, “রাজনৈতিকভাবে যারা জোট করেছে, তাদেরকে স্বাগত জানাই। কারণ, রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই রয়েছে। আজকে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দল জোট করে নির্বাচনে আসবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এতে গণতন্ত্রের ভিত্তিটা আরও মজবুত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।” বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হলেও আসছে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, অর্থাৎ ভোটের সময় শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবে, সংসদও থাকবে বহাল। আদালতে দণ্ডিত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দলের সঙ্গে জোট বেঁধে কামাল হোসেনরা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন বলেও দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় থাকা সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে নিয়েও আওয়ামী লীগ নেতারা সমালোচনামুখর সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে তার কটূক্তি করা নিয়ে। যারা ‘জোট করে ষড়যন্ত্র করছে’ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, “যারা এখানে যুক্ত হয়েছে, তাদের যে কথাবার্তা যা কিছু মানুষ জানতে পারছে, তাতে এরা কেউ কেউ তো মানুষকে সম্মান রেখেও কথা বলতে পারছে না। নারীবিদ্বেষী মনোভাব, মেয়েদের প্রতি অশালীন কথা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই তাদের থেকে শুনতে পারছি।” ঐক্যজোটের নেতাদের কাছে সংযত আচরণ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “জনগণের জন্য কাজ করতে গেলে যে সহনশীলতা দরকার, ত্যাগ দরকার- তা তাদের মাঝে নেই। আশা করি, এদেশে সত্যিই রাজনৈতিক একটা জোট করে যদি এগিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে সেইভাবে চলতে হবে। “তবে কেউ অশালীন উক্তি করলে মানুষ যদি বিচার চায়, তার বিচার করাটা রাষ্ট্রের কর্তব্য; রাষ্ট্র তা করবে এবং করে যাচ্ছে।” আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দিন। যেন ক্ষমতায় এসে অন্যায়-অবিচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক দূর করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ পাই।” আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। “তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সাথে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আল্লাহ যদি চান আগামী নির্বাচনে আমরা আবার যদি ফিরে আসতে পারি, এর মাঝে অবশ্যই আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব, শাস্তি দিতে পারব। এই বিশ্বাস আমার আছে।” তিনি বলেন, “শাস্তি যখন পেয়েছে, যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন আল্লাহর ওপরে আমার বিশ্বাস আছে, বাংলাদেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস আছে- নিশ্চয়ই একটা দিন আসবে যে যারা এতবড় জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রকাশ্য দিবালোকে রণক্ষেত্রের ব্যবহৃত গ্রেনেড রাজপথে ব্যবহার করে এভাবে হত্যা করেছে। আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের বিচার যখন হয়েছে, রায় যখন হয়েছে। একদিন সাজা পেতেই হবে। সাজা তাকে ভোগ করতে হবে।” ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান পিপিএম এর সভাপতিত্বে এ অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম, বিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস.এম. মোস্তাইন হোসেন, বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোঃ হামিদুল আলম, বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ ফারুক উল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (এমটি ও সরবরাহ) মোঃ মোখলেছুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মোঃ শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) এসএম মেহেদী হাসান, বিপিএম, পিপিএম (বার), উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ,পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) ফাতিহা ইয়াছমিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম) মোঃ তারেক আহম্মেদ, র্যাব, সিআইডি, পিবিআই, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, এপিবিএন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি, সকল অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার তাঁহার বক্তব্যে গত সেপ্টেম্বর-২০১৮ মাসে নগরীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সিএমপি’র পুলিশ সদস্য সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল ইউনিটকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য সকল থানা, ডিবি সহ অন্যান্য সংস্থাকে যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন। মহানগরীতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন এবং নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় কমিশনার মহোদয় ওয়ারেন্ট তামিল এবং ওয়ারেন্ট এর গায়ে তামিলকারী অফিসারের কৈফিয়ত উল্লেখ করা, অপমৃত্যু মামলা, নিয়মিত মামলা, শহরের যানজট নিরসনকল্পে ট্রাফিক আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে ডিসি, এসি ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তাগিদ প্রদান করেন এবং সম্মানিত নাগরিকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য আহ্বান করেন। উক্ত সভায় সেপ্টেম্বর-২০১৮ মাসে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও ভাল কাজের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন স্তরের ৭০ (সত্তর) জন পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফ’দেরকে নগদ অর্থ ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। সেপ্টেম্বর-২০১৮ মাসে শ্রেষ্ঠ বিভাগ, শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার, শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি), শ্রেষ্ঠ থানা, শ্রেষ্ঠ পরিদর্শক, শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক এর সম্মাননা সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন যথাক্রমে উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোঃ হামিদুল আলম, বিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মোঃ জাহেদুল ইসলাম, সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) এসএম মোবাশ্বের হোসাইন, পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলমগীর, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কর্ণফুলী থানা, পুলিশ পরিদর্শক জনাব সদীপ কুমার দাশ, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, পাহাড়তলী থানা, এসআই/অর্ণব বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানা। সভায় পুলিশ কমিশনার মহোদয় অপরাধ দমন ও যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্য সহ সম্মানিত নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার রায়কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তবে কি কারণে হঠাৎ তাঁকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য জানা যায়নি। তাঁকে ফটিকছড়ি থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় যোগদানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে। তাঁর স্ট্যান্ড রিলিজ সংক্রান্ত একটি চিঠি উপজেলা কার্যালয়ে এসেছে বলে উপজেলার প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রধান সহকারী স্মরন বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানালেও তবে কোন চিঠি তার হাতে পৌছেনি বলে মন্তব্য করেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার তৌহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফটিকছড়ির ইউএনওকে কুতুবদিয়ায় বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন এটি মন্ত্রনালয়ের প্রাত্যহিক স্বাভাবিক বদলি প্রক্রিয়া। স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি তিনি অনেকটা কৌশলে এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ১৩জানুয়ারী দীপক কুমার রায় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছিলেন। ঢাকার ধামরাইয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে উপজেলার শাখার উদ্দ্যেগে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের যানজটমুক্তর আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) শীর্ষক একটি সংগঠনের৷ তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২২অক্টোবর) বেলা ৩ ঘটিকার সময় ধামরাই পৌর-সভার ঢুলিভিটা ও ইসলামপুর ঢাকা আরিচা মহাসড়কে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির ব্যানারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা অংশ নেয়।এই সময় রাস্তাদিয়ে চলাকালে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দাড়িয়ে যানজটের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এসময় তারা ঢুলিভিটা স্ট্যান্ডে একটি ওভার ব্রিজের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়। এই সময় নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ নাহিদ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ধামরাই সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা, উদ্ধোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই ডি-লিংক পরিবহনের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম রতন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নয়ারহাট শাখার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ মোঃ আতিকুল্লাহ ভুঞা, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী-লীগের সদস্য ও ঢাকা জেলার সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিক আনোয়ার হোসেন গুলশান, নিরাপদ সড়ক চাই এর আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল কালাম, ধামরাই থানার সদর ইউপি চেযারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, প্রথম আলো পত্রিকার সাব এ্যাডিটর মাহমুদ ইকবাল, আফাজুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, কমিশনার মোহাম্মদ আলী পৌর-কমিশনার আমজাদসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই সময় ধামরাই নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু রিফাত জাহান প্রেমন এর সঞ্চালনায় নিরাপদ সড়ক চাই স্বাগতম বক্তব্য রাখেন, ধামরাই ইপজেলা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেওয়ান নজরুল ইসলাম বলেন,ঢাকা আরিচা মহাসড়কটি গুরুত্বপুর্ণ একটি সড়ক, এই সড়কে আর বেশি পরিমানে ফুটওভার ব্রিজ,সড়ক ডিভাইডার-সহ ট্রাফিক পুলিশের খুবই প্রয়োজন। এ ছাড়া ইসলামপুর ও নয়ারহাট বাজারের বালুমহল থেকে বালুর ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেধে দিতে হবে যাতে যানজট না হয়। এটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সময়ের দাবি হয়ে দাড়িঁয়েছে। এই সময়ে ধামরাইয়ের সুশীলসমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণ একাত্তাত প্রকাশ করেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরান ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা আগামী শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় মালিটোলা ইংলিশ রোড ফজলুল করিম কমিনিউটি সেন্টার (বংশাল থানার উপরে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, ৯০ এর ছাত্র গণ-আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মোঃ মঈনউদ্দিন মঈন। ইতিমধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি। মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় পুরান ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনীতিক ব্যক্তিবর্গরা ছাড়াও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
c91fdd18-d5be-4c8e-99be-8c48354b97f5
শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সারাদেশে দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিন দশেক বাদেই ব্যালেট পেপারে নিজের পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে সিল দিয়ে দেশের দায়িত্ব অর্পন করবে দেশবাসী। সারাদেশে বইছে যেনো নির্বাচনী উৎসব। উৎসব আমেজে থেমে নেই ময়মনসিংহের বিভিন্ন আসন। চলছে নির্বাচনি গণসংযোগ প্রচারণা ও প্রার্থীদের ভোট চাওয়ার হিড়িক ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মহাজোট মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী ময়মনসিংহের ৭টি আসনে নির্বাচনি প্রচারণার কর্মসূচি ঘোষনা করেন। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষনা করেন। এসময় তিনি বলেন – উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয় আবারো প্রয়োজন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় মাঠে ছিল। এবারের নির্বাচনেও সবার একাত্বতায় ছাত্রলীগ কাজ করবে দেশ ও জাতীর স্বার্থে, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ গড়তে নৌকাকে আবারো বিজয়ী করতে। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচীর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি নিম্মরূপ- আগামী ২১ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর,২২ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল,২৩ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও, ২৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর তারাকান্দা, ২৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা, ২৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়িয়া, ২৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৪ সদর আসন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট সওর পাহাড়ের বিপরীত দিকের পাহাড়ের অদূরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদের আলোচনা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। বিশাল মসজিদটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে আসা হাজিদের মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের অনেক ঘটনাকে। বৃহদাকার মসজিদের উচুঁ মিনারগুলো বেশ দূর থেকে পাহাড়ের চূড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নবী করিম (সা.) বিদায় হজে মসজিদে খায়েফে নামাজ পড়েছেন। এই মসজিদের অনেক ফজিলত হাদিস ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে। পাহাড়ের চেয়ে নিচু এবং সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচু স্থানকে আরবি পরিভাষায় খায়েফ বলা হয়। আবার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকাসম ভূমিকেও খায়েফ বলে আরবরা। অপরদিকে, খায়েফ মসজিদ হচ্ছে মক্কার কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের এক স্মৃতিচিহ্ন। ইতিহাসে এসেছে, পঞ্চম হিজরিতে ইহুদিদের প্ররোচনায় মক্কার কাফেররা মদিনায় হামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে তারা কিছু আরব গোত্রের সঙ্গে সন্ধি চুক্তি করে। এই সন্ধি চুক্তি করার জন্য মক্কার কাফেররা যে স্থানটি বেছে নেয় পরে সেখানেই খায়েফ মসজিদ নির্মিত হয়। মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফের গোত্রগুলোর ঐক্যের ব্যর্থতার নিদর্শন হিসেবে মসজিদটি দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত ঘোষণা করছে, ইসলামের বিজয়গাঁথা ইতিহাসকে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) খায়েফ মসজিদের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছিলেন ওসমানিয় শাসনামলে সেখানে একটি বড় গম্বুজ ও মেহরাব তৈরি করা হয়। এখন অবশ্য সেটি আর নেই। ঐতিহাসিক বর্ণনায় এসেছে, ২৪০ হিজরিতে এক প্রলয়ঙ্করী বন্যায় খায়েফ মসজিদ ধসে পড়ে। তবে বন্যা শেষ হওয়ার পরপরই মসজিদটি আবার নির্মাণ করা হয় এবং এর চারপাশে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়। সে সময় এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ছিল ১২০ মিটার এবং প্রস্ত ছিল ৫৫ মিটার। সে হিসাবে এটি ছিল ওই সময় আরব অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এমনকি তখন মসজিদে হারামের চেয়েও বড় ছিল এই মসজিদের আয়তন। ৮৭৪ হিজরিতে মিসরের মামলুকি সুলতান কাইতবা এই মসজিদ পুননির্মাণ করেন। মসজিদের ওই স্থাপনাটি কয়েক দশক আগ পযন্ত বিদ্যমান ছিল। এখন থেকে তিন দশক আগে ১৪০৭ হিজরিতে এই মসজিদ পরিবধন ও পুননির্মাণের এক বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মসজিদের আয়তন আগের চেয়ে চারগুণ বাড়িয়ে প্রায় ২৫ হাজার বর্গমিটার করা হয়। খায়েফ মসজিদে এখন ৩০ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের চারকোণায় অবস্থিত চারটি সুউচ্চ মিনার মসজিদটিকে দান করেছে অপার সৌন্দর্য। হজের মৌসুমে মিনায় শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের সময়টাতে মসজিদটি মুসল্লিদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। মসজিদের সামনে স্থাপিত সাইনবোডে বেশ ৭টি ভাষায় লেখা রয়েছে মসজিদের নাম। সেখানে বাংলাতেও লেখা আছে- আল খায়েফ মসজিদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫টি নির্বাচনী আসনে বিজবি ২৫ ব্যাটালিয়ন এবং শুধুমাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ২৫ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির জানান, ২৫ ব্যাটালিয়নের ১৪ প্লাটুন সদস্যদের ৫টি নির্বাচনী এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইকবাল হোসেন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের ৩ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা ভূমিকা রাখবে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহারে আগামীদিনের জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিগত সময়ের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও ১০ বছরের উন্নয়ন চিত্রও তুলে ধরা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমাদের এবারের অঙ্গীকার আমরা টেকসই বিনিয়োগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করব।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের ইশতেহার এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’ ‘এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জনগণ কিছু পায়।’ ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করার অনুরোধ শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কাজ করতে গিয়ে আমার বা আমার সহকর্মীদেরও ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি নিজের এবং দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভুল-ভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। ‘আমি কথা দিচ্ছি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আরও সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণ করব।’ নৌকায় ভোট দিন, আমরা উন্নয়ন-সমৃদ্ধি দিব আগামী নির্বাচনে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩০ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করুন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দিব। এটা আমার ওয়াদা। ‘ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি এবার স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।’ ইশতেহারে বিগত দিনের উন্নয়ন চিত্র >>মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৭৫১ ডলারে উন্নীত। >>বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। >>দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২১.৮ শতাংশে নেমেছে। >>জিডিপি’র আকার প্রায় ৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার কোটি থেকে প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকায় উন্নীত। >> আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী ইশতেহার দেখতে ক্লিক করুন >>এইচবিএসসি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। >>২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ১০.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত। >>অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ। >>বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। >>২০১০ থেকে এ পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সর্বমোট ২৬০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯১ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ >>নির্বাচিত হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের চলমান প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করব। >>সংসদকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। >>মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, বিচারবিভাগকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা >>প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা লাভের সুযোগ-সুবিধা অবারিত করা হবে। >>মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন >>প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়-পরায়ণতা এবং জনসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। >>আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলা >>জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে জনবল নিয়োগ করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ >>আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। >>দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল >>সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে। >>জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় সরকার: জনগণের ক্ষমতায়ন >>ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। >>স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সামষ্টিক অর্থনীতি: উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন >>আগামী ৫ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। >>২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ। >>২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ এবং দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট) >>দেশে ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আমার গ্রাম-আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ >>শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিব। >>পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। >>ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। >>ইন্টারনেট/তথ্য প্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে। তরুণ যুবসমাজ: ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ >>১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। >>প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার যুব/যুব >>নারীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। >>প্রতিটি উপজেলায় ‘যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করা হবে। >>জাতীয় পর্যায়ে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের তথ্য >>সম্বলিত একটি ইন্টিগ্রেটেড ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে। >>তরুণদের সুস্থ বিনোদনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’। প্রতিটি জেলায় ‘যুব স্পোর্টস কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলা হবে। নারীর ক্ষমতায়ন >>নারীর প্রতি সকল বৈষম্যমূলক আচরণ/প্রথা বিলোপ করা হবে। >>বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। >>কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করা হবে। >>নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আলাদা ব্যাংকিং ও ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস >>প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিত করা হবে। >>সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে এবং সবার ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে। >>দারিদ্র্যের হার ১২.৩ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। >>দারিদ্র্যের হার ১২.৩ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। >>একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি: খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে নিশ্চয়তা >>কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সফল ধারা অব্যাহত রাখা হবে। >>কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। >>কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভ ও সহজপ্রাপ্য করা হবে। >>কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা হবে। >>ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিপণ্যের দক্ষ সাপ্লাই চেন/ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা হবে। >>কৃষি গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। >>ছোট ও মাঝারি আকারের দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামার প্রতিষ্ঠা এবং মৎস্য চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনমত ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতি সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি >>২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। >>২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ৫,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হবে। শিল্প উন্নয়ন >>পাটজাত পণ্যের রপ্তানিতে আর্থিক প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। >>কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। >>পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে আধুনিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে। >>প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আইটি শিল্প পার্ক স্থাপন করা হবে। শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রমনীতি >>শিল্প শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করা হবে। >>নারী শ্রমিকদের জন্য ৪ মাসের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি বাস্তবায়ন করা হবে। >>শ্রমিক, হতদরিদ্র এবং গ্রামীণ ভূমিহীন ক্ষেতমজুরদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করা হবে। শিক্ষা >>প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। >>শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে। >>শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। >>সকল গ্রামে, আধা মফস্বল শহরে এবং শহরের নিম্নবিত্তের স্কুলসমূহে পর্যায়ক্রমে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করা হবে। >>প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে। >>নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। >>সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষাখাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়ে গেছে, তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসন করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ >>১ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের উপরে সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। >>সব বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। >>কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ভবনসহ সব সুবিধা পর্যায়ক্রমে আধুনিকীকরণ করা হবে। যোগাযোগ >>যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ করা হবে। >>ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে। >>রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আধুনিক বাস সার্ভিস চালু করা হবে। >>দেশের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। >>আগামী ৫ বছরে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। >>ঢাকার চারপাশের ৪টি নদী-খালগুলোকে খননের মাধ্যমে নদী তীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে। >>একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। >>বিদ্যমান আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন ত্বরান্বিত করা হবে। >>মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিরপত্তার জন্য আন্ডারপাস/ওভারপাস র্নিমাণ করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি >>জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ৫-জি চালু করবো। >>ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। সমুদ্র বিজয়: ব্লু -ইকোনমি- উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন >>সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করবো। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা >>‘বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে’ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। উৎপাদনশীল বনের আয়তন ২০ শতাংশে উন্নীতকরণ করা হবে। শিশু কল্যাণ >>শিশুশ্রম বন্ধ করতে কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা হবে। >>পথশিশু, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের পুনর্বাসন, নিরাপদ আবাসননের ব্যবস্থা, জন্য শিশুসদন প্রতিষ্ঠা এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা উন্নত ও প্রসারিত করা হবে। প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ কল্যাণ >>প্রতিবন্ধী সকল শিশুর সুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হবে। >>প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাফেরা, যোগাযোগ, চিকিৎসা সহজ করা এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। >>প্রবীণদের জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম গ্রহণ, প্রবীণদের বিষয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন >>মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নেওয়া কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। >>দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা, ইতিহাস বিকৃতি রোধ এবং প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। >>সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণ, শহীদদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। ধর্ম ও সংস্কৃতি >>সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। >>কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে। >>শিল্পের সব শাখার ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন ও চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো হবে। ক্রীড়া >>ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ সুবিধার সম্প্রসারণে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। >>প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও অনুন্নত সম্প্রদায় >>পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির যেসব ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। >>নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমিতে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। >>জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। >>সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব প্রকার আইন ও ব্যবস্থার অবসান করা হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ >>জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গঠন করে সকল গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও জনগণের সত্য তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা হবে। >>মিথ্যা তথ্য প্রচার ও অনাকাঙ্ক্ষিত গুজব নিরসনে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করা হবে। >>সামাজিক দায়বদ্ধতাসমৃদ্ধ সাংবাদিকতা ও সংবাদ মাধ্যম উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করা হবে। >>অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চর্চায় সাংবাদিকদের উৎসাহ প্রদান ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। >>পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। >>গণমাধ্যম-বান্ধব আইন করা হবে। >>সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোন আইনের অপপ্রয়োগ হবে না। প্রতিরক্ষা: নিরাপত্তা সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সুরক্ষা >>সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। পররাষ্ট্র >>বাংলাদেশের ভূখণ্ডে জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার নীতি অব্যাহত থাকবে। এনজিও >>সরকারি প্রতিষ্ঠান/বিভাগ স্থানীয় সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় জোরদার করা হবে। এমডিজি অর্জন এবং এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন) বাস্তবায়ন কৌশল (২০১৬-২০৩০) >>সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা হবে। ব-দ্বীপ বা ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ >>বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয়ের যোগসূত্র সৃষ্টি করবে। পড়ুন>> ** আধুনিক নগর সুবিধায় গ্রাম হবে শহর **কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না **আবার ক্ষমতায় এলে ৫-জি চালুর প্রতিশ্রুতি **নির্বাচিত হলে ১ কোটি ২৮ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সূত্রঃ বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।
65914d2f-88e7-4c8e-b69f-72d2ad48a46b
সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট চতুর্থবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশ্যে এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ। জাতির উদ্দেশ্য দেয়া প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ ভাষণ তুলে ধরা হলো। প্রিয় দেশবাসী। আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত ৩০-এ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে বিপুলভাবে বিজয়ী করার জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শোকরিয়া আদায় করছি। যারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমাদের ভোট দেননি, আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও জোট এবং প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সহযোগিতায় আমরা এ বিশাল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার-নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সালাম জানাচ্ছি। আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, আমার তিন ভাই- মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল- কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিল এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এএসআই সিদ্দিকুর রহমান-সহ সেই রাতের সকল শহিদকে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি জরিপগুলিও এ রকমই ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়েছিল। লন্ডন-ভিত্তিক ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাদের এই ল্যান্ড স্লাইড বিজয়ের কয়েকটি কারণ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। বিগত ১০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, সাধারণ মানুষ তার সুফল পেয়েছেন। দশ বছর আগে যে বালক/বালিকাটি হারিকেন বা কুপির আলোয় পড়া-লেখা করত, গ্রামে পাকা রাস্তা দেখেনি, তরুণ বয়সে সে এখন বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় পড়াশোনা করছে, মোটরযানে যাতায়াত করছে। গ্রাম বাংলার খুব কম পরিবারই আছে, যে পরিবার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগী নয়। কোন না কোনভাবে প্রতিটি পরিবার উপকৃত হচ্ছেন। সরকারি চাকুরিজীবীগণের বেতনভাতা বিগত ১০ বছরে আড়াই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতাও সমহারে বেড়েছে। যেমন পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ১৬০০ টাকা থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার টাকা হয়েছে। ব্যবসায় এবং শিল্প-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একদিকে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে অন্যদিকে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারিত হয়েছে। যার সুবিধা সাধারণ জনগণ পাচ্ছেন। পদ্মাসেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাসড়কগুলোকে চার-লেনে উন্নীতকরণসহ মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় সাধারণ মানুষের বর্তমান সরকারের উপর আস্থা জন্মেছে। মানুষ নিজের এবং দেশের মর্যাদা চায়। আমরা বাংলাদেশকে সেই মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪৬ বছর পর উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তি জনগণকেও গর্বিত করেছে। ভিক্ষুকের দেশের দুর্নাম ঘুচেছে। যারা মানুষকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন, তাদের মানুষ মর্যাদা দিবেন- এটাই স্বাভাবিক। পক্ষান্তরে আমাদের প্রতিপক্ষ জোটের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে আপনারা ভালভাবেই জানেন। আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাইনে। তাদের পরাজয়ের বহুবিধ কারণ রয়েছে: এক আসনে ৩-৪ জন বা তারও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন; মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ এবং দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন; নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন – সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা; নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতায় গেলে আমাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নিবে- তাদের প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে। আপনারা টানা তৃতীয়বার এবং ১৯৯৬ সাল থেকে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়েছেন। আপনাদের এবারের এই নিরঙ্কুশ সমর্থন আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি সরকারের ২০০৫-৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। যা ৭.৬ গুণ বৃদ্ধি করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পরিমাণ ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। যার নব্বই ভাগ বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে। কারও কাছে আমাদের হাত পেতে চলতে হয় না। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব শিক্ষিত তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ২০২০-২০২১ সালে মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করব। বাঙালি জাতির এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা দেশকে আর্থ-সামাজিক খাতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আর এর কৌশল হিসেবে আমরা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করছি। আমরা ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো সম্পৃক্ত করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি। বিজয়ের পর আমরা সরকার গঠন করেছি। সরকারের দৃষ্টিতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব। সরকারি সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করব। জাতীয় সংসদ হবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু। আমি জানি, দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা হবে। আমরা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির নির্মুল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তাই, গণমাধ্যমের সহায়তায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকবে। বৈশ্বিক প্রভাবে কিংবা স্থানীয় প্ররোচনায় আমরা কিছু কিছু তরুণকে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হতে দেখেছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। আমি সমাজের সকলকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। তারুণ্যের সৃষ্টিশীলতা, উদ্যম এবং শক্তির উপর আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তারুণ্য মানেই বাংলা ভাষার জন্য আত্মদান, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, আসাদ-মতিউর, নূর হোসেনদের রক্তদান। তারুণ্য মানেই লাল-সবুজের পতাকা- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, তারুণ্য মানেই বাঙালি এবং বাংলাদেশ। প্রিয় দেশবাসী, নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে আমি আমার মন্ত্রীসভা গঠন করেছি। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। ’ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। বিডি-প্রতিদিন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অভিনন্দন জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক চিঠিতে ট্রাম্প এই অভিনন্দন জানান। এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ব নেতাদের অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে জয় পেয়েছে নৌকা। টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে আগামী পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ১০ জনই হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং একই বাড়ির সাত জন। নিহতরা হলেন, নীলফামারি জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশচন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), একই উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের নূর আলমের ছেলে মো. মোরচালিন (১৮), এই গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে মো.মাসুম (১৮), একই উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মানিক চন্দ্র রায়ের ছেলে তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), রামপ্রসাদের ছেলে বিল্লব (১৯), ওই উপজেলার শিমল বাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন রায় (১৯), নিজ পাড়া গ্রামের কৃষর চন্দ্র রায়ের ছেলে সংকর চন্দ্র রায় (২২), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কামাক্ষা রায়ের ছেলে অমিত চন্দ্র রায় (২০), ওই উপজেলার শিমুল বাড়ি গ্রামের দিনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মিনাল চন্দ্র রায় (২১), ওই উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), একই গ্রামের ধলু রায়ের ছেলে কনক চন্দ্র রায় (৩৪)। ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আরও জানান, ভোর সাড়ে ৫টার ব্রিক ফিল্ডের জন্য আনা একটি ট্রাক থেকে কয়লা আনলোড করার সময় হঠাৎ তা উল্টে গিয়ে ব্রিক ফিল্ডের লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর পড়ে। এতে সেখানে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। চালক ও হেলপার পালাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শদ শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ২০ হাজার এবং ব্রিক ফিল্ডের মালিক ১০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রধান করেন। কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুর্ঘটনাটি পরিদর্শন করেছি। দর্ঘটনা কি কারণে ঘটেছে তাহা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
f50c5376-6c5f-4496-8349-4f6177376abb
বিশেষ প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র কঠিন হুঁশিয়ারির পরও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সাথে বিজয়নগরের সরাসরি সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সড়কে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। সবার একটাই কথা যেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সদর বিজয়নগরের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব তিন বারের সফল এমপি মোকতাদির চৌধুরী নিজে রাস্তাটির নির্মাণকাজ তদারকি করছেন এবং জনসম্মুখ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই সড়কের কাজ কোন অনিয়ম করা হলে সে যেই হউক তাকে ছাড় দেবেন না। সাংসদের এমন হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং দেশের বাহিরে থাকার সুযোগে সড়কটির নির্মাণকাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও শতকরা ৫০-৬০% এক নম্বর ইট ও অবশিষ্ট ইট গুলো মিঠা ও ফিকেট দিয়ে রাস্তার উপরের সলিংয়ের কাজ করে শুভংকরের ফাঁকি দিচ্ছেন। তিতাস পূর্বাঞ্চল তথা বিজয়নগরবাসীর প্রাণের দাবী এই সড়কটি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাস্তবায়ন হচ্ছে। যার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বিজয়নগরবাসী সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোকতাদির চৌধুরী কে বিশাল ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী করেছেন। যা আগামী দনেও অব্যাহত থাকবে। সরেজমিনে ঘুরে সড়কের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শতকরা ৫০% নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, আমরা কাজ করতে এসেছি, আমরা ভালোমন্দ বললে চাকুরী থাকবে না। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে শেখ হাসিনা সড়কের উপরের সলিংকাজের জন্য ৪০ লক্ষ ইট লাগবে। এসব ইট দেওয়ার জন্য স্থানীয় মেসার্স রতন ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটার সাথে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে এক নাম্বার ইট সরবরাহের জন্য। কিন্তু রতন ব্রিকস থেকে শতকরা ৫০% নিম্নমানের ইট সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এসব অনিয়ম ডলি কন্সট্রাকশান এর নিয়োজিত ম্যানেজার, সাব-ইঞ্জিনিয়ার সহ আরো অনেককেই ম্যানেজ করা করছেন কতিপয় রতন ব্রিকস নামের ইট ভাটার কর্তৃপক্ষ। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মেসার্স রতন ব্রিকস এর প্রোপাইটর কামরুজ্জামান রতন আওয়ামীলীগ মনোনীত বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। আর দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে অনেক সাধারন মানুষ মুখ খুলে বলতে চাই না তার এই অনিয়মের কথা। তবে সময়নিউজবিডি ডটকম এর এই প্রতিবেদকের কাছে মোবাইল ফোনে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে, এবং সরাসরি অনেক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় সাধারন মানুষের একটাই দাবী দলের পরিচয় ব্যবহার করে যেন বিজয়নগরবাসীর স্বপ্নের এই শেখ হাসিনা সড়কের কাজে নিম্নমানের ইট সরবরাহ করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় সাংসদ যার কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কটি নির্মাণ হচ্ছে প্রিয় নেতা মোকতাদির চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দিন সামান্য নিম্নমানের ইট সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি অবগত হয়েছেন জানিয়ে বলেন, আমি দ্রুত পরিদর্শনে যাবো। গিয়ে যদি ইট সরবরাহে অনিয়ম পায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই সড়কের নির্মাণ কাজ সরাসরি এমপি স্যার করেন। স্যার নিজেও সড়কটির কাজ পরিদর্শন করেন। স্যারের নির্দেশ এ কাজে কেউ অনিয়ম করলে এ্যাকশন নিতে। পরবর্তী আপডেট পেতে সময়নিউজবিডি ডটকম এর পাতায় চোখ রাখুন। সময়নিউজবিডি/শে,হ,স/বি। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহর ক্রিকেট খেলা নিয়ে মোঃ ফারুক (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ফারুক ওই এলাকার আলী আকবরের ছেলে। সে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ফারুকের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফারুককে মারধর করে তাকে বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে ওই যুবকেরা। বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর ফারুক অসুস্থ্যতাবোধ করলে তাঁকে সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে অভিযুক্ত যুবকদের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। লালমনিরহাট প্রতিনিধি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজার থেকে দলগ্রাম পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি এলাকাবাসী একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহবুবের কাছে গেলেও কোনো প্রতিকার পায়নি। ফলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই অনিয়মের প্রতিবাদে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা জানান, ওই উপজেলার তুষভান্ডার বাজার থেকে দলগ্রাম যেতে মূল রাস্তার পাশে উপজেলা পরিষদের অফিসের কাছে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে ঠিকাদার। এলাকাবাসী একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহবুবকে জানালেও তিনি কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মোড় থেকে দলগ্রাম পর্যন্ত ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১ কিলো ৫ শত মিটার রাস্তা পুর্ণ নির্মানের কাজ পায় কুড়িগ্রামের ঠিকাদার জহুরুল হক দুলাল। কুড়িগ্রামের ঠিকাদার দুলালের কাছে থেকে কাজটি কিনে নেন লালমনিরহাটের ঠিকাদার রেজাউল করিম স্বপন। কিন্তু রাস্তাটি নির্মাণ করেন স্থানীয় এক ঠিকাদার ও তার সহযোগীরা। সরেজমিন দেখা যায়, ওই ঠিকাদারের প্রতিনিধি নিম্নমানের ইট ও পরিমাণে কম বালু দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় এতই নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে যা হাতে নিয়ে ওপর থেকে মাটিতে ছেড়ে দিলে ওই ইট গুঁড়ো হয়ে যায়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আফজাল হোসেন বলেন, কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। বিষয়টি একাধিকবার ফোনে উপজেলা এলজিইডিতে জানানো হয়। ঠিকাদারকে ডেকে সব ধরনের আশ্বাস দিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিলো গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকাবাসীর দাবি না মেনে অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, যে ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছে তাতে এক মাসও টিকবে না এ রাস্তা। ইট নয় পোড়ামাটি, হাতের চাপে ইট গলানো যায়। মেসার্স দুলাল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার রেজাউল করিম স্বপন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা। আমরা সব সময় ভালো ইট-খোয়া দিয়ে রাস্তা নিার্মাণ করে থাকি। তা ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহবুব বলেন, আমি এ বিষয় কিছু বলতে পারছি না। সহকারী প্রকৌশলী ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করুন। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগ করা চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, নিম্নমানে ইট-খোয়া দিয়ে রাস্তা সংস্কার করছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিয়েছি ঠিকাদার যেনো ইট-খোয়া অপসারণ করে নেন। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট জম্মু, ২৬ ফেব্রুয়ারি- মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানের ভেতরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর আকস্মিক বোমা হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কানাচক সীমান্তে পাকিস্তানও অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী পাক রেঞ্জার্স। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, জম্মুর কানাচক সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক রেঞ্জার্স। ভারতও এর যথাযথ জবাব দিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানে ২০০-৩০০ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। তবে তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলছে, ভারতের বিমান হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় হামলার পর ভারতের সব বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানে ভারতের এই হামলা প্রায় ২১ মিনিট ধরে চলমান ছিল। এতে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। মুজাফফরাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের তালেবান অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোট সেক্টরেও হামলা হয়েছে। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট মুম্বাই, ১৫ জানুয়ারি- সালমান খানের কাছে নতুনদের প্রাধান্যটা একটু বেশি। সবসময় জায়গা দিয়েছেন নতুনদের। সে ডেইজি শাহ হোক কিংবা জারিন খান কিংবা ক্যাটরিনা কাইফ। বলিউডের সম্ভাবনাময় নায়িকাদের পাশে থেকে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সালমান খানের জুড়ি মেলা ভার। আর এবারও সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে ‘ভাইজান’-থেকে। কারণটা কি হতে পারে? একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সালমান খানের বিপরীতে এবার দেখা যাবে রিয়া চক্রবর্তীকে। সারা আলি খানের ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ হিসেবে পরিচিত রিয়া নাকি এবার সালমানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন। যদিও, এ বিষয়ে বলিউড ‘ভাইজান’ নিজে কিছু জানাননি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দিশা পাটানির পর এবার রিয়া চক্রবর্তীকেও দেখা যেতে পারে সালমান খানের এই সিনেমায়। পাশাপাশি আরও শোনা যাচ্ছে, সালমান খানের এই সিনেমায় নাকি ক্যাটরিনা কাইফকেও দেখা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, সালমান খানের ভগ্নিপত অর্থাৎ আলভিরা খানের স্বামী অতুন অগ্নিহোত্রী নাকি সিনেমাটির প্রযোজক। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সময়নিউজবিডি রিপোর্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ নির্বাচন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই উন্ননের অভিযাত্রায় ঢাকা উত্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ঢাকা উত্তরকে বাংলাদেশের হৃৎপি- বলা যেতে পারে। ঢাকাকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। আর ঢাকা উত্তর হলো এ নগরীর মূল চালিকাশক্তি। সেই বিবেচনা থেকে ঢাকা উত্তরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যুবশক্তিতে ভরপুর এক দেশ। যুবকরাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাই ঢাকা শহরকে যুববান্ধব একটি মহানগরীতে রূপান্তর অত্যন্ত জরুরি। এ কারণেই আমি যুববান্ধব এক ঢাকা মহানগরী গড়তে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করতে চাই। ১. একটি সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় যুবনীতির আলোকে ঢাকা মহানগরীতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২. ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে পৃথক যুব বিভাগ গঠন করা প্রয়োজন; যা আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছে। ৩. ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পৃথক যুব বাজেট করার জোর দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ৪. ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে ‘যুব গবেষণা কেন্দ্র’ স্থাপনের প্রয়োজন আজ সময়ের দাবি। ৫. আমরা জানি, দেশের উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ঢাকায়। তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোয় যুগোপযোগী কারিগরি তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগের প্রয়োজন। ৬. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণার জন্য আর্থিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য যেন সিটি করপোরেশন ও সরকার পদক্ষেপ নেয়, সেই দাবি যুবক ও তরুণদের। ৭. যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমেই মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত একটা বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’র মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ঢাকার সব কর্মক্ষম যুবকের তালিকা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ৮. ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে যুব কর্মসংস্থান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। ৯. বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য পৃথক সেল গঠন করা যেতে পারে ঢাকা মহানগরীতে। ১০. ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চশিক্ষিত তরুণদের জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় যখন যে ধরনের জনবলের দরকার হবে এই ডাটাবেজ থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী তরুণদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। ১১. বাংলাদেশের তরুণ-যুবকরা এখন চাকরির চেয়ে আত্মকর্মসংস্থানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিনা জামানতে এবং সহজশর্তে ব্যাংক ঋণ পেতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ১২. সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য কারিগরি, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোরও ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৩. ঢাকা মহানগরীতে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য একটা তরুণ উদ্যোক্তা নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে আমরা আশা করছি। ১৪. তরুণদের সুস্থ বিনোদনের জন্য পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় যুব বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যেখানে থাকবে ইনডোর গেমসের সুবিধা, মিনি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্নার ইত্যাদি। এর ফলে তরুণসমাজ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে নিজেদের দূরে রাখবে। ১৫. ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে আমার আবেদন- স্বল্প খরচে যুবকদের ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে যেন অবিলম্বে ইয়ুথ প্ল্যান তৈরি করা হয়। ১৬. উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর প্রথম টার্গেট হলো যুবসমাজ। এ যুবসমাজ যেন ভ্রান্ত ধারণায় মোহাবিষ্ট হয়ে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত না হয়, সেজন্য তাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় কাউন্সেলিং কেন্দ্র তৈরি করা যেতে পারে। ১৭. যুবকদের ভয়াল মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত করতে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে। একই সঙ্গে বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রগুলোয় সিটি করপোরেশনের অনুদান বাড়ানোরও ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৮. ঢাকায় একটি যুব কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। এ প্রস্তাবগুলোর সবই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে তাতে রয়েছে। ইশতেহারের কথাগুলো আজ বাস্তবে গ্রহণ করা সময়ের দাবি। ঢাকা উত্তরে যিনিই মেয়র নির্বাচিত হোন, তিনি যুববান্ধব ঢাকা গড়তে এ প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করবেন বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন। লেখক : চেয়ারম্যান, আওয়ামী যুবলীগ। সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বরাবরই সুনাম অর্জন করছে বাংলাদেশের শিশু-কিশোর হাফেজ-কারিরা। সুমধুর তেলাওয়াত ও হৃদয়কাড়া সুরে নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর। তাদের অনন্য অবদানে প্রায়ই বিশ্বমিডিয়ায় শিরোনাম হচ্ছে ষোলো কোটি মানুষের ‘বাংলাদেশ’। যেসব হাফেজ ও কারি বিশ্বদরবারে দেশকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন, তাদের কয়েকজনকে নিয়ে আজকের আয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, ভারত, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত আটজন হাফেজে কোরআনের কথা– ১) হাফেজ মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম: আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০৩টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা দাউদকান্দির হাফেজ মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। ২০১৭ সনের ১৫ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ১০৩ প্রতিযোগীর সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সে। সুমধুর তেলাওয়াত ও মুগ্ধকর সুরে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে সেরা বিজয়ীর খেতাব অর্জন করে তরিকুল। পুরস্কার হিসেবে পায় ২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ৫৬ লাখ টাকা)। দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স আহমদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। হাফেজ তরিকুল রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাঁও গ্রামে তার জন্ম। বাবার নাম মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক। সাত ভাইবোনের মধ্যে তরিকুল পঞ্চম। হিফজের পাশাপাশি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে তরিকুল। পুরস্কারের অর্থ দিয়ে সেবামূলক কাজ ও বাবা-মাকে হজ করাতে চায় সে। হাফেজ তরিকুল ২০১৪ সালে মাছরাঙা টেলিভিশনে ‘আল কোরআনের আলো’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়, ২০১৫ সালে বাংলাভিশনে ‘পবিত্র কোরআনের আলো’ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ, ২০১৭ সালে এনটিভিতে ‘পিএইচপি কোরআনের আলো’ প্রতিযোগিতায় পঞ্চম ও ২০১৭ সালে হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের ‘জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়’ দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। ২) হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন: গেল বছর (২০১৭) বিশ্বজয় করেছে হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন। সৌদি আরবের ‘বাদশা আবদুল আজিজ আল সৌদ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা’য় ৭৩টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সে। ১১ অক্টোবর আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৩টি দেশের কিশোর ও তরুণ হাফেজরা অংশ নিয়েছিল। চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে। পুরস্কার হিসেবে পায় ক্রেস্ট এবং ১ লাখ ২০ হাজার রিয়াল। হাফেজ মামুন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ কারি নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠিত ঢাকার যাত্রাবাড়ীর তাহফিজুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা তার গ্রামের বাড়ি। বাবার নাম মো. আবুল বাশার। হাফেজ মামুন এর আগেও মিশরের রাজধানী কায়রোয় ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ৩) হাফেজ নাজমুস সাকিব: আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ নামজুস সাকিব একাধিকবার বিশ্ববুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চাতায় নিয়ে গেছে। শুরুটা ২০১২ সালে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মহাদেশ কেরাত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। সেবার ২৭টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে নাজমুস সাকিব। তারপর ২০১৩ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় ৮৬টি দেশের প্রতিযোগীকে টপকে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৪ সালে পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় ৭৩ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। ওই বছরই ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০১৫ সালে সুদানের রাজধানী খার্তুমে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা মহাদেশ কেরাত প্রতিযোগিতায় ৬৫টি দেশের মধ্যে প্রথম হয়। একই বছর কাতারে অনুষ্ঠিত ১৮ দেশের মধ্যে প্রথম হয়। ২০১৬ সালে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে এই হাফেজে কোরআন। তার গ্রামের বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানাধীন ইতাইল পল্লীতে। বাবার নাম মো. আবুল কালাম আজাদ। মা সালমা বেগম। ২৯ মার্চ ২০০১ সালে তার জন্ম। ২০০৬ সালে ময়মনসিংহের আমলাপাড়া আনোয়ারা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় তার পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়। এ মাদ্রাসা থেকেই হিফজ শেষ করে হাফেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০০৮ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন করে বর্তমানে ঢাকার বারিধারা মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত। ৪) হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া: ‘কুয়েত অ্যাওয়ার্ড’ নামে আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনে কিশোর হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে। প্রতিযোগিতাটি উদ্বোধন করেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ। হাফেজ জাকারিয়া ৩০ পারা কোরআন হিফজ গ্রুপে চতুর্থ স্থান অর্জন করে ৭ হাজার কুয়েতি দিনার ও সম্মাননাপত্র লাভ করে। কুয়েতে অনুষ্ঠিত কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ সফলতা। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে মিশরের কায়রোয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৫০ হাজার পাউন্ড জিতে নেয় হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া। একই বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করে। এছাড়াও কাতার, জর্ডান ও মিশরের কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে জাকারিয়া। হাফেজ জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। তার বাবা হাফেজ মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ মানিকগঞ্জ হরিরামপুরের একটি মসজিদের ইমাম। হাফেজ জাকারিয়ার সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করার মধ্য দিয়ে। সেবার দেশের বাছাইকৃত প্রায় ৩০ হাজার হাফেজের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পায় সে। ৫) হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকি: বাহরাইনে শায়েখ জুনায়েদ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৫৪টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকি। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। একই বছর কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭২টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয় সে। হাফেজ ত্বকির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন ডালপা গ্রামে। ২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর তার জন্ম। তার বাবা মাওলানা বদিউল আলম। পারিবারিক শিক্ষা শেষে ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীর ধলপুর লিচু বাগান হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসায় হিফজ শুরু করে হাফেজ ত্বকি। এখানেই হিফজ শেষ করে। তারপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় অধ্যয়ন শুরু করে। ২০১৪ সালে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাসহ ২০১৭ সালে হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। ৬) হাফেজ আবু রায়হান: বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বলকারী আরেকজন হাফেজের নাম আবু রায়হান। মার্চ ’১৮-এ কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল জিম টিভির একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সে। অনূর্ধ্ব পনেরো বছর বয়সিদের নিয়ে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনের পাশাপাশি কেরাত প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে। ১২ বছর বয়সি হাফেজ আবু রায়হান মাত্র আট বছর বয়সে কোরআনের হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে। খুদে এই হাফেজ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে অবস্থিত মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসলামিয়া একাডেমি শিক্ষার্থী। বড় হয়ে বিশ্বব্যাপী কোরআনের আলো ছড়াতে চায় সে। ৭) হাফেজ হেলাল উদ্দীন: পবিত্র মসজিদুল হারামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে এনেছে হাফেজ মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দীন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে মক্কায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০ দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মক্কার আমির খালেদ আল-ফয়সাল, প্রধান বক্তা ছিলেন, পবিত্র হারাম শরিফের ইমাম আবদুর রহমান আল-সুদাইস। বিজয়ী হাফেজ মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীনের হাতে ৭৫ হাজার সৌদি রিয়াল চেক, সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি। হাফেজ মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন কারি নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদি খান উপজেলার গোবরদি বয়রাগাদী (নুরপুর) গ্রামে তার জন্ম। বাবা হাফেজ মাওলানা মো. মঈনুদ্দীন। মা আলেমা মারুফা। ৮) হাফেজ ইয়াকুব হোসাইন তাজ: আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী আরেক বাংলাদেশি ক্ষুদ্র তারকার নাম হাফেজ ইয়াকুব হোসাইন তাজ। ২০১৭ সালে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল জিম টিভির কেরাত ও হিফজ রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ২৮টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কিশোর এই হাফেজ। হাফেজ ইয়াকুব ঢাকার তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ১০ বছর বয়সি এই হাফেজের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে। তার বাবার নাম মো. হোসাইন। হাফেজ ইয়াকুব এর আগে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পঞ্চম স্থান লাভ করেছিল। সেবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ৯৬টি দেশের প্রতিনিধি। সূত্রঃ আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ইনাম/সময়নিউজবিডি ডটকম। সামিয়া রহমান চকবাজার টু চট্টগ্রাম অদ্ভুত অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী উড়োজাহাজ বিজি ১৪৭ ছিনতাইয়ের চেষ্টা হলো। চট্টগ্রামে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্যারাকমান্ডো ট্রুপ দারুণ দক্ষতার সঙ্গে বিমান ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে, যদিও মৃত অবস্থায়। শোনা গিয়েছিল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র আর শরীরে বোমা পেঁচিয়ে বিমানে উঠে জিম্মি করার চেষ্টা চালানোর পর কমান্ডো অভিযানে মারা পড়েছে সেই যুবক। যদিও এখন শোনা যাচ্ছে খেলনা পিস্তল দিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা হয়েছে। সব যাত্রী নিরাপদে ইমারজেন্সি দিয়ে অবতরণ করতে পেরেছেন। চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির যেমন প্রশংসা করতে হয়, আমাদের কমান্ডো বাহিনীর দক্ষতার প্রশস্তি স্বীকার করতে হয়, তেমনি বাংলাদেশের বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিই শঙ্কিত হতে হয়। প্রশ্ন হলো, কীভাবে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে অস্ত্র নিয়ে একটি বিমান ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটায় ওই যুবক? গাফিলতি কার? বিমানবন্দরের নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে কীভাবে অস্ত্রসহ ওই লোক প্রবেশ করতে পারল? এতগুলো চেক পয়েন্ট তাহলে কাজ করেনি? শরীর, ব্যাগ, পোশাক, জুতা, বেল্ট যেখানে চেক করা হয় সেখানে অস্ত্রসহ কীভাবে তার প্রবেশ ঘটে? যদিও শোনা যাচ্ছে খেলনা পিস্তল, কিন্তু নকল পিস্তল দিয়ে হলেও বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাও তো সাংঘাতিক! ময়ূরপক্সক্ষী উড়োজাহাজটি বোয়িং ৭৩৭ মডেলের। ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু নিয়ে বিজি ১৪৭ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাচ্ছিল। এ কম্বিং অপারেশনে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করতেই হয়। কমান্ডো অভিযান শুরুর ৮ মিনিটের মাথায় সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে উড়োজাহাজটিকে মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান। মাত্র ৮-১০ মিনিটের মাথায় এত বড় একটি অপারেশন এত দক্ষতার সঙ্গে সমাপ্তি- বিশাল ব্যাপার। এবং বলতেই হয় আমাদের কমান্ডো বাহিনী আন্তর্জাতিক দক্ষতাসম্পন্ন বলেই মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এয়ার কমোডর মফিদের নেতৃত্বে অপারেশনটি পরিচালিত হয়। কিন্তু একটা প্রশ্ন, ঘটনার পেছনে ঘটনা জানার জন্য লোকটিকে কি বাঁচিয়ে রাখা যেত না? শুনলাম সে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং তার নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তাকে ফোনে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জানার কি উপায় ছিল না কেন সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায়? ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য কী। রাত ৮টার কিছু আগে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সংকটের অবসান ঘটেছে। ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীকে জখম অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার পৌনে এক ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জানান, আহত ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মাহাদী এবং তার বয়স ২৬-২৭ বছর- শুধু এতটুকুই বলতে পেরেছেন অভিযানে থাকা যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা। তার আর কোনো পরিচয় তারা দিতে পারেননি, পারেননি তার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও কিছু জানাতে। এক যাত্রীর বরাতে শোনা যায়, ওই যুবক নাকি প্লেনে পিস্তল নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের বলেছিল, কেউ উঠে দাঁড়ালে বা নড়াচড়া করলে গুলি করা হবে। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তখন নাকি ওই যুবক কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। শোনা যায় তার শরীরে নাকি বোমা লাগানো ছিল। যদিও গণমাধ্যমগুলো এখন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবার রহমানের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে ছিনতাইকারীর কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে সেটি ফেইক, খেলনা পিস্তল। একটি গণমাধ্যমে শুনলাম, যুবক নাকি কোনো নায়িকার ব্যর্থ প্রেমিক? তাই কি? বিষয়টি কি সত্যিই এত হালকা? পেছনের ঘটনাটি কি আর জানার উপায় আছে? বেবিচক চেয়ারম্যান নাঈম হাসানের মতে, ওই যুবকের আচরণ অসংলগ্ন ছিল। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই লোকটির কাছ থেকে তথ্য আদায় জরুরি ছিল। তদন্ত হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু জানা কি যাবে কার প্রশ্রয়ে বা কাদের গাফিলতিতে বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় ওই যুবক অস্ত্রসহ প্রবেশ করে (সেটি নকল হোক আর আসল হোক), বিমান ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটানোর সাহস রাখে? রহস্যের কূলকিনারা হবে কি? একটি প্রশংসা আমাদের গণমাধ্যমেরও প্রাপ্য। দায়িত্বশীলতার প্রশংসা। হলি আর্টিজানের ঘটনার সময় আমাদের গণমাধ্যমগুলো ব্রেক ইভেনের প্রতিযোগিতায় এমন সব তথ্য দেওয়া শুরু করেছিল যে, জঙ্গিরা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছিল। এবার প্রায় সব গণমাধ্যম কাছাকাছি সময়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনা দর্শকদের জানিয়েছে এবং কমান্ডো অপারেশন চলাকালে লাইভ সম্প্রচার থেকে বিরত থেকেছে। হয়তো সেই সময়টুকু দর্শকরা টেনশনে ছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এর প্রয়োজন ছিল। প্রতিযোগিতার নামে আমরা এবার দর্শকদের অন্তত বিভ্রান্ত করিনি, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পেরেছি। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যায়। চকবাজারের চুড়িহাট্টার আগুনের ভয়াবহতা আর অস্ত্রসহ বিমানে ঢুকে উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা সম্ভব হয় কাদের কাজের গাফিলতিতে, কাদের দায়িত্বহীনতার ঘাটতিতে? নিরাপত্তা বাড়াতে নানা পদক্ষেপের মধ্যে বিমানবন্দর পেরিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার উড়োজাহাজে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এই যুবক উঠে পড়ল, সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে কে? যেখানে স্ক্যানিং মেশিনে নেইল কাটার থেকে শুরু করে আয়না, লাইটার সব ধরা পড়ে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ওই যুবক লুকাল কীভাবে? খেলনা পিস্তল হলেও তো স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ে। বার বার শুনছি আমাদের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশেষ করে যাত্রী হয়রানি, লাগেজ হ্যান্ডলিং, নোংরা-অপরিচ্ছন্ন টয়লেট, দক্ষ কর্মীর অভাব প্রকট সেখানে। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশই বোধহয় একমাত্র দেশ, যেখানে অবতরণের পর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও শুধু লাগেজপ্রাপ্তির জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যদিও আমাদের ভিভিআইপি বা ভিআইপিরা এ কষ্ট বুঝবেন না, কারণ তাদের লাগেজ প্রথমে আসে আর লাগেজ বহনের জন্য বিমানবন্দরের কর্মীরাই দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের বাদবাকি সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝবে কে? এখন এর সঙ্গে আবার যুক্ত হলো নিরাপত্তাহীনতা। উন্নয়নের দেশ বাংলাদেশে বিমানবন্দর ডিজিটাল হয় না কেন? এমনকি পাশের দেশ ভারতের দিল্লির বিমানবন্দরের পাশেও কি দাঁড়াতে পারবে আমাদের বিমানবন্দর? এই সমালোচনা দেশকে সমালোচনা নয়, সরকারকে সমালোচনা নয়। এটি আমার আত্মসমালোচনা। কারণ এ দেশের বাসিন্দা, নাগরিক তো আমিও। কমিটি হবে। অনুসন্ধান হবে। ছিনতাইকারী তো নিহত। তার দুরভিসন্ধির কারণ জানতে পারব কি? সাধারণ মানুষ হিসেবে দাবি, সত্যিটা উন্মোচিত হোক আমাদের সামনে। কারণ এর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। আমাদের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। দাবি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের। নামে শুধু নয়, ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও আন্তর্জাতিক মানের। এক মাসের মধ্যে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। চকবাজারের অগ্নিকা- আর তারপর বিমান ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা। পুরান ঢাকায় মৃত্যুকূপে বসে আছে সেখানকার জনগণ। এটি আমার বক্তব্য নয়, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। আবার যে কোনো সময় ঘটতে পারে এমন ঘটনা। সরকারের কাছে একটি অনুরোধ- যে উন্নয়নের দাবি নিয়ে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন, আমাদের মতো ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের সেই নিরাপত্তার উন্নয়ন দিন। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগটুকু করে দিন। যাদের দায়িত্বহীনতায় সরকার বিপদগ্রস্ত হচ্ছে, সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে, রাষ্ট্র বিপন্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে- তারা যে-ই হোক, যে দলের নামধারী হোক, তাদের পরিষ্কার করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনিই তো একসময় বলেছিলেন আগাছা যে দলেরই হোক না কেন, তা উপড়ে ফেলবেন। এখনই কি তার প্রকৃত সময় নয়? সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
225afb15-91f0-4c54-bd6a-643578e5d23d
এস এম শাহাজামাল : রাজশাহী দুর্গাপুরে এনজিও’র প্রত্যারনর ফাঁদে পড়ে সর্ব শান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। প্রতিনিয়িত এনজিও গুলো গ্রহকদের সাথে প্রত্যারনা করে চলেছে। এসব নামী-বেনামী এনজিও গুলোর অতিদ্রুত লাগাম ধরতে না পারলে সর্বশান্ত হবে এ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। ইতিমধ্যে এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ নিঃস্ব হয়ে এনজিও ভয়ে আতœহত্যা করেছে। এমনকি অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার পরেও এনজিও ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পরিবার গুলোর উপর চালানো হচ্ছে অমানবিক অত্যাচার। তবে এ এলাকার এনজিও গুলো কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানিয়েছে অনেকে! স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করার পিছনে ইন্দন দিচ্ছে ইউএনডিপিসহ দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা। তার ধারবাহিকতায় রাজশাহী জেলায় এনজিও গুলোর দুর্নীতির আখড়া পরিণত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এনজিও ব্যুরো নিয়ন্ত্রণ নেই। গত বছর থেকে সরকারের বিভিন্ন জেলার এনজিও গুলোর উপর নজরদারীর নির্দেশ দিলেও বাদ পড়েছে রাজশাহী জেলা। সরকারি ভাবে এনজিও গুলোর উপর তেমন কোন নজরদারী নেই। আর এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এনজিও গুলো দুর্নীতির আখড়া পরিণত করেছে। মানব সেবার আর্দশ নিয়ে গঠিত হলেও বাস্তবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে এসব এনজিও গুলো। এ কারনে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও এনজিও প্রতিষ্ঠাতাদের আর্থ-সামাজিক ও অবস্থানগত মর্যাদার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আন্তজার্তিক সাহ্যপুষ্ট ৫০টি অধিক এনজিও গত বছর ৩রা নভেম্বর নিবন্ধন বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যলয়ের অধীন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো । অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী এলাকায় সুনিদিষ্ট নীতিমালা প্রনয়নের বিষয়টি সরকারের নজরদারী না থাকার ফলে এনজিও গুলোর দর্নীতি সীমাহীন বৃদ্ধি পেয়েছে। এনজিও গুলোর স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া কঠোর করা হয়নি। এসব এনজিও রেজিস্ট্রশন হয় দ্য সোসাইটিজ রেজিস্ট্রশন আক্ট,১৯৮০ এর অধিনে। এ আইনে স্বচ্ছতা, জবাবদিতিা নিশ্চিতকরণও দুর্নীতিরোধের কোন দিকনির্দেশনা নেই। সুত্রে জানায়, আন্তজাতিক সাহায্যে সাহায্যেকারী এনজিও গুলো দ্যা ফরেন ডোনেশনস রেগুলেশন রুলস-১৯৭৮ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যলয়ের ২০০১ সালের ২৯ মে জারিকৃত পরিপত্রের অনুয়ায়ী চলে আসছে। উক্ত আইনে নিবন্ধনের পর হতে পাচঁ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক বেসরকারি এনজিও কে নিবন্ধন নবায়নের আবেদন করার বিধি নিষেধ রয়েছে। এবং আবেদনের সঙ্গে এনজিও’র পাঁচ বছরের কার্যক্রম,বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরিক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করার বিধান রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বছরের পর বছর রাজশাহী এলাকার এনজিও গুলোর সামগ্রিক কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি হচ্ছে না। যার ফলে এনজিও গুলো নিজের ইচ্ছে মত কাজ করে চলেছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অনিয়ম দুরর্নীতি করে চলেছে। সম্প্রতি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় জাগরণ চক্র ফাউন্ডেশনের নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নামে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু এ প্রকল্পের কোন কার্যক্রম উপজেলার কোন গ্রামে দেখা যায়নি। কিন্তু এনজিও কর্মীরা কয়েকটা কেটলগ সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যলয়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে চলেছে। এছাড়া ইউএনডিপির অর্থায়নে সাস (স্ট্যাটেজিক একশ্যান সোসাইটি) এর উদ্যোগে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার স্যাানিটেশন প্রকল্পের মান উন্নয়নের কাজ চলেছে। কিন্তু উপজেলার কোন গ্রামে স্যানেটিশন সেবার উন্নয়ন কাজ হয়নি। তবে এনজিও কর্মীরা কর্মশালায় উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা,স্কুল ব্যবস্থা কমিটিকে সম্পৃত্ত করা হয়। এই ভাবে প্রতিদিন কোন না কোন এনজিও কর্মশালা,সেমিনার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুট পাট করা হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের কোন ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সেবায় এখনো অনেক পিছিয়ে পড়ে আছে দুর্গাপুর উপজেলা। কিন্তু প্রতিনিয় কোন না কোন এনজিও বিভিন্ন কাজ করে চলেছে। গ্রাম উন্নয়নের নামে যে প্রকল্প গুলো করা হয় তা কাগজে কলমে, বাস্তবে কোন কাজ হয় না। রাজশাহী অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক ও দারিদ্র বিমোচনের নামে স্থানীয় কতিপয় স্বার্থান্বেষীমহল দীর্ঘদিন ধরে দেশী-বিদেশী দাতাগোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকা আত্বসাতের ফায়দা লুটছে। ফলে এসব বিদেশী টাকা আত্বসাতের জন্য নিত্য নতুন নামে এনজিও গঠনের হিড়িক পড়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে এসব এনজিও। দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর এনজিওগুলোর সুনিদিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্ট্রি হয়ে আসছে। এই সুযোগে বেশ কিছু এনজিও সংগঠন উন্নয়ন ও মানব সেবার নামে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে। বেশকিছু এনজিও,র কার্যক্রমে যেমন জাতিগত বৈষম্যতা তেমনি সাম্প্রদায়িকার ইস্যু সৃষ্ট্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে।এই ভাবে এনজিও গুলোর রাজশাহী অঞ্চলে দারিদ্রতার সুযোগে প্রতারনার মাধ্যমে অসহায় পশ্চাদপথ দরিদ্র জনগোষ্ঠী হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে। বাংলাদেশ বাংকের ছাড়পত্র ব্যতীত সঞ্চয় আমানত গ্রহন করার বিষয়ে আইনগত বৈধ কিনা তা মনিটরিং ও তদারকি করতে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। জানাগেছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য,আইনি সহায়তা,সহ বিভিন্ন মানউন্নয়ন প্রশিক্ষনের জন্য দাতা সংস্থারা সহায়তা করে থাকেন। কিন্তু এখনো এলাকার সাধারণ মানুষ জানে না তারা এসব টাকা দিয়ে কি ধরনের কার্যক্রম চালায়।এমনকি সরকারি ভাবে এসব কাজের কোন রিপোর্ট প্রদান করা হয় কি না। তবে হলেও সেটা কাগজে কলমে হয় বাস্তবে মাঠে নেমে ওই প্রকল্পের কার্যক্রম জেনে রিপোর্ট দাখিল করা হয় না। আর এসব রিপোর্ট সরকারি অফিসের টেবিলের তলায় পড়ে থাকে। কখনো দেখা লাগে না। কারন এর কোন জব্বাব দেওয়ার বা নেওয়ার কোন জায়গা নেই। রাজশাহী জেলাসহ নাটোর,বগুড়া, চাঁপাইনবাঞ্জ জেলার হাতে গণা কয়েকজন ব্যক্তি ও এনজিও’’র হাতে জিম্মি হয়ে পড়ায় সকল বিষয়ে নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে । এছাড়া স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করার পিছনে ইন্দন দিচ্ছে ইউএনডিপিসহ দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা। উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক উন্নয়ন ও সেবামুলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে। এতে যেন উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য দারিদ্রপীড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের। কেননা, তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ও রাজশাহী অঞ্চলে আর্থ-সামজিক উন্নয়নের নামে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও মাঠে এসবের কোন তৎপরতাই নেই। শুধু কাগজে-কলমে এবং কর্মশালা ও সেমিনারের মধ্যে শেষ হচ্ছে তথাকথিত উন্নয়ন ও ত্রাণ কর্মসূচি। এই সুযোগে এনজিও গুলো কর্মশালার নামে নিত্য নতুন সমস্যার ইন্দন দিচ্ছে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায়। অপরদিকে তথাকথিত এক শ্রেণীর সরকারি আমলা, উন্নয়ন কর্মী ও জনপ্রতিনিধি রাজশাহী অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মসূচির আড়ালে মত্ত রয়েছেন প্রমোদ বিলাসে। তারা রাজশাহী অঞ্চলে কর্মশালা আয়োজনের নামে লুটপাট করছেন দেশি-বিদেশি কোটি কোটি টাকা। আত্মর্জাতিক কতিপয় দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এসবের সিংহভাগ অর্থই লুটপাট ও আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে। আত্মসাৎ করা অর্থের দায় চাপানো হচ্ছে সরকারের ঘাড়ে। নাম দেয়া হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন। এ ভাবে দুর্গাপুর উপজেলাসহ রাজশাহী ৯টি উপজেলার শত শত এনজিও এসব শীর্ষ আমলাদের যোগসাজসে উন্নয়নের নামে হরিলুট চালাচ্ছে। বিশ্লেষকদের দেয়া তথ্য মতে, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা রাজশাহী জেলার ৯ উপজেলার উন্নয়ন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তা কর্মসূচির ব্যানারে ঘন ঘন সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে অপচয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। একেকটি অনুষ্ঠানে ব্যয় দেখানো হয় লাখ লাখ টাকা। অথচ এসব অনুষ্ঠানের আড়ালে আয়োজন করা হয় কেবলই প্রমোদ বিলাস আর লোক দেখানো কর্মসূচি। সরকারি এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার অর্থেই হচ্ছে এসব আমোদ-ফূর্তি। এক শ্রেণীর সরকারি আমলা ও বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রায় সময় উপভোগ করে যাচ্ছেন প্রমোদ বিলাস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে আয়োজন করা হয় প্রমোদ বিলাসী রমরমা আসর। কর্মশালায় রাজশাহী জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ইউএনডিপির প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেয়। এদিকে, পবা উপজেলায় চলতি মাসের শুরুতেই বিদেশী দাতা সংস্থার অর্থায়নে রাজশাহীতে আম ও লিচুর মানউন্নয়নের প্রশিক্ষনের সেমিনার করা হয় । কিন্তু সেমিনারের নামে লাখ লাখ টাকা ব্যায় করা হলেও কোন কার্যকারিতা নেই। চলতি মাসেই একটি ইংরেজি পত্রিকায় ওই সেমিনারের নিউজ প্রকাশিত হয়। পরে জানা যায় নিউজটি বিদেশী দাতা সংস্থাকে দেখানোর জন্য পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। এছাড়া কোন প্রয়োজন ও নেই। দুর্গাপুর উপজেলা এনজিও ফ্লোরামের সভাপতি মোজ্জামেল হক বলেন, এনজিও’র বিদেশী দাতা সংস্থার অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তৃণমূল সাধারন অতিদরিদ্র জনগোষ্টির কাছে যেতে হবে। এমন কি স্থাণীয় জনপ্রতিনিধিদেও নিয়ে কাজ করতে হবে। শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায় নিশ্চিত করতে হব।
19235b0f-7557-47f6-a1e3-9810ebd4e37c
সময় সংবাদ বিডি- ঢাকাঃ নারী সম্ভবত মহাজগতের সবচেয়ে আলোচিত এক প্রাণী, এ কথা বলেছিলেন ভার্জিনিয়া উলফে, তিনি নিজে এবং নারী সমাজের জন্যেই একটি নিজস্ব কক্ষ চেয়েছিল, কিন্তু তা পান নি। এমন এ ধারার আলোচনাতেই তাঁর পতিপক্ষের সবাই অংশ নিলেও শুধু যার সম্পর্কে অনেক গভীর আলোচনা, সেই নারীই বিশেষ সুযোগ পায় নি অংশ নেয়ার। বলতেই হয় এমন পতিপক্ষটির নাম পুরুষ, নিজের বানানো অলীক বিধাতার পার্থিব প্রতিনিধি, আর পুরুষমাত্রই যেন খুুুব প্রতিভাবান, আবার কেউ কেউ তাঁর বিধাতার চেয়েও নাকি প্রতিভাদীপ্ত;- অন্ধ ও বধির, লম্পট ও ঋষি, কবি ও কামুক, দালাল ও দার্শনিক, বালক ও বৈজ্ঞানিক, পাপী কিংবা প্রেরিত পুরুষ, অর্থাৎ এমন এ পুরুষ প্রজাতির সবাই অংশ নিয়েছিল নারী সম্পর্কেই অন্তত একটি নেতিবাচক শ্লোক রচনায়। কিন্তু ঐ শ্লোক আসলেই যেন অশ্লীল আবর্জনার মতো। এমন প্রতিপক্ষ কিংবা এই পুরুষ জাতিরা কখনো কারো মূল্য বা অধিকারকে স্বীকার করে না। এমনকি নারীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না অনেক সময়। সুতরাং পুরুষরা নারী সমাজ সম্পর্কে বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে যেগুলো শ্লোক রচনা করেছে আবার তার অনেক বিধিবিধান সবটাই যেন সন্দেহজনক এবং আপত্তিকর। বলতেই হচ্ছে পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে, করেও রেখেছে দাসী; তবে স্বার্থে এবং ভয়েই কখনো সখনও মহিমাকীর্তন করে দেবী রূপে। এমন চোতুর পুরুষ এই প্রাণী, নারীদের নিন্দায় সামান্য সত্য কিংবা সামাজিক ভাবে তাদের মূল্যায়ন করলেও পর্বতীতে যেন মহিমাকীর্তন ছেড়ে তারা সুপরিকল্পিত ভাবে প্রতারণা করে। যুগে যুগেই পুরুষরা সাধারণত প্রতারণা ক’রে এসেছে নারীকে। তবে আশান্বিত কথা গুলো হচ্ছে উনিশশতক থেকে একগোত্র পুরুষ লড়াই করছে নারী সমাজের পক্ষে।তাছাড়াও বর্তমানে আবার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এক চৌকশ মেধাবী সুদক্ষ নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই কাজ করছে। নারীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সহিত বাংলাদেশও আজ অনেকাংশেই সক্রিয়। এই জন্যে বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি। বলতেই হয় আওয়ামী লীগ সরকার এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে নারীদের কল্যাণেই কাজ করছে তাঁর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র ভাবে বা স্বতঃস্ফূর্ততা সহিত। এমন এই মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলি তা হচ্ছে, মহিলা ও শিশু বিষয় সম্পর্কিত জাতীয় নীতি, উন্নয়ন মূলক অনেক কর্ম সূচি গ্রহণ, মহিলাদের আইন ও সামাজিক অধিকার বিষয়াদি, মহিলাদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি। এ আওয়ামী লীগ সরকার নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থানকেই মজবুতের জন্যেই চাকরিজীবী নারীদের ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করেছে, তাদের সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রেও বাবার পাশাপাশি মায়ের নামটি সংযুক্ত করেছে। এই দেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুুুষদে সমান অধিকার। এই অধিকারকে সরকার নিশ্চিত ভাবেই প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে কাজ করছে। গ্রামীণ নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকেই মজবুত করার জন্যে বিভিন্ন রকম ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন, কাজকর্মে সম্পৃক্ত করবার জন্যেই গ্রামে “একটি বাড়ি, একটি খামার” প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের তাঁত শিল্প, হস্ত শিল্প এবং কুটির শিল্প বিকাশের জন্যে এ সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ নারী সমাজের যখন সহায়তা দেওয়া হয়, দেখা যায় তারা তাদের প্রদেয় সহায়তা কখনো নয় ছয় হয় না। এই সহায়তাকেই পুরোপুরি ব্যবহার করে নারীরা পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা দিতে পারছে। জানা দরকার যে, জাতীয় সংসদে নারীদের জন্যেই ৩০টি সংরক্ষিত আসনসহ পুরুষের পাশাপাশি তাঁরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তা ছাড়াও তাঁরা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলাদের জন্যেই আছে সংরক্ষিত আসন। আবার চাকরিতেও মহিলাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের এক পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতেই চাকরি পেতে সহায়ক হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠলেও এ দেশের সংসদ বা সরকারি চাকরিতে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন ও কোটা সংখ্যা বৃদ্ধি এক অর্থেই নারী সমাজকে এসব গুরুত্ব পূর্ণ পদে আনতে আগ্রহী করেছে এ সরকার।শহুরে নারীদের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীর অবস্থানের দিকে যদি তাকাই, তাহলে সেখানেও নারীদের প্রতি বর্তমান সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন এমন সরকারের একটি গুরুত্ব পূর্ণ লক্ষ্য। নারীদের জন্যেই বিনিয়োগের একটি বিশেষ ব্যবস্থা বিদ্যমান রেখেছে সরকার। এমন নারীদের হাতে যখন অর্থ আসে, তখন তাঁদের দরিদ্র পরিবার জানে এখন দুঃখের দিন গুলোর পরিসমাপ্তি হয়তো সামনেই। গ্রামীণ নারী সমাজকেই আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাঁদের পায়ের তলার মাটিকে শুধু যে সরকার মজবুত করছে তা না, সে নারীদের স্বাস্থ্যের দিকেও যেন সরকারের বহু দৃষ্টি রয়েছে। যার ফলেই আজ, গ্রামীণ নারীর সুবিধার্থে গড়ে উঠেছে বহু কমিউনিটি ক্লিনিক। সুতরাং মাতৃমৃত্যু হ্রাস এমন এ বাংলাদেশে অনেকখানিই সফলতার দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের নারীসমাজ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলা যায়, একেবারেই অনেক আগে পিছিয়ে ছিল। এখন নারীদের দিকে বর্তমান এই আওয়ামী লীগ সরকার চৌকশ সু দৃষ্টির জন্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং চাকরিতেও অনেকাংশে গুরুত্ব পূর্ণ ভাবে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। উন্নয়নের দেশ, এ বাংলাদেশ। নারীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের একটি রোল মডেলে অবস্থান করছে বলেই মন্তব্য করেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার- “শিরীন শারমিন চৌধুরী”। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা সহ বিরোধী দলের নেতাও- “নারী”।জাতীয় সংসদে মোট- ‘৭৩ জন’ নারীর প্রতিনিধিত্বও রয়েছে। উচ্চ কিংবা নিম্ন আদালতেও আসীন আছে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক নারী বিচারক। আবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও রয়়েছে নারী সচিব। দিনে দিনে বাড়ছে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা। এ দেশের নারীরা পুলিশ, সেনা বাহিনী বা জাতি সংঘের শান্তি বাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং কাজে উচ্চ পদে সু-দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করছে। নারী বিজ্ঞানী, নভোচারী, গবেষক, উদ্ভাবক, রাষ্ট্র নায়ক, যোদ্ধা থেকে শুরু করেই যেন সমাজের সর্বস্তরে তাঁদের প্রতিভা, মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। সমাজে এ নারীদের ব্যাপক অংশ আজও যে পশ্চাদপদ অবস্থায় পড়ে রয়েছে তা এই পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণেই হয়তোবা কিছুটা। এ অসম্ভব কাজ গুলোকেই সম্ভবনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিয়েছে গণমানুষের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুুতরাং নারী সমাজের গতানুগতিক ভাবেই শিক্ষকতায়, ডাক্তারি পেশায় এবং মিডিয়া লাইনেও নারীর আধিপত্য এবং তাদের দাপট রয়েছে। সুতরাং ঐতিহ্যগত ভাবেই কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি এমন এই বাংলাদেশ এখন শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতিতেই গড়ে উঠছে। এ দেশীয় তৈরি পোশাক ও ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধ শিল্পের সহিত তথ্য প্রযুক্তি খাতও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। একটু জানা দরকার, এ দেশের পল্লী অঞ্চলে নারী সমাজ তেমন অগ্রগতি না হলেও অপর দিকেই যেন নারীরা ধর্ষণ, যৌননির্যাতন, এসিডনিক্ষেপ, নারীহত্যা, নারীপাচার, নারী অপহরণ, নারী বৈষম্য ও নারীকে বিভিন্ন ভাবে শোষণের সঙ্গে নানা ধরনের অন্যায় অবিচার থেকে অনেকাংশেই যেন মুক্তি দিতে পারছে সরকার। তবে এমন এই সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যা কিছু চোখে পড়ছে তাকেও যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েই খুব দ্রুতগতিতেই বিচারের আওতায় নিয়ে আসছে।বাংলাদেশের নারীদের সুরক্ষায় অসাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে বিভিন্ন আইন। প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসট্রেইন অব হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যাক্ট, পর্নোগ্রাফি কন্ট্রোল আইন সঙ্গেই পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ইত্যাদি। নির্যাতিতা নারীদের আইনগত সুবিধা এবং অভিযোগ নেওয়ার জন্যেই এ দেশে প্রতিটি জেলায় খোলাও আছে স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার। তাই ধর্ষিতা নারীদের অনেক হেল্প করার জন্যেই যেন কয়েকটি সরকারি হাসপাতালেও সরকারের উদ্যোগে জরুরি পরীক্ষার জন্যেই ডিএনএ ল্যাব খোলা হয়েছে। নারী সমাজের পায়ের তলা সৃদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে অবশ্য প্রয়োজন রয়েছে নারী শিক্ষা। এখন এ দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব ছাত্রীদের বিনামূল্যে অধ্যয়ন করতেই সহায়তা প্রদান করছে। প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে শুরু করেই যদি এমন নারী সমাজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়, তবে ভালো ফলাফলধারী হিসেবে দেখা যাবে নারীই এগিয়ে রয়েছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও যে মেয়েটি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তার মধ্যেও ব্যক্তি সচেতনতা দিনে দিনেই গড়ে উঠছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নারী শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, আইনগত ভাবে, আর্থিকভাবে, মানসিক সাপোর্টে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রকে সঙ্গে পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারীর অগ্রগতির পথে পাশে রয়েছে তাঁর পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী “শেখ হাসিনা” গ্রামীণ নারীদের অবস্থানকে চৌকশ ভাবে তুলে ধরে বলেন, তাদের জীবন যাপন এবং অবস্থাকে সঠিক সময়েই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের প্রচ্ছন্ন ভূমিকার প্রতি এই সরকার ও জনগণের অনুভূতিকে জাগ্রত করার সঙ্গে নারীর বহুমুখী কার্যক্রমের সমর্থন দিতে হবে। তাদের বহু ধরনের বাস্তবতাকে তুলে ধরে এই নারীদের অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক মর্যাদাকেই সমুন্নত রাখতে হবে। পরিবেশ ও প্রাণ বৈচিত্র্য এবং তাদের কৃষিকর্ম রক্ষায় গ্রামিণ নারীদের যে ভূমিকা রয়েছে, তাঁর উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট ভাবে নিশ্চিত করেই সহযোগিতা প্রদান প্রয়োজন। এ দেশের গ্রামাঞ্চলে পরিশ্রমী নারীর পাশা পাশি সকল নারী সমাজকেই প্রচ্ছন্ন ভাবে ব্যাপক অবদানে রাখলে নারী সমাজ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে আর অবহেলিত থাকবে না। তাঁদের ঘর-সংসারের যাবতীয় কাজকর্মের পাশাপাশি সামান্য আয়ে তাঁরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে বলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, পারিবারিক ভাবেই নারীরা বিশেষ করে গ্রামীণ নারী সমাজ প্রচন্ড চাপের মুখে থাকে। আবার দেখা যায়, তাঁরা কোনো কাজ করেও শ্রমমুল্য এবং সম্মান ঠিক মতো পায় না। অত্যাচার, নির্যাতন আর বৈষম্যের মূল শিকারে অবস্থান করে গ্রামীণ নারী সমাজ। আবার স্বীকার করে নিতে হবে যে, গ্রামীণ নারীসমাজ ঐতিহ্যগত ভাবে যেন গ্রামীণ কৃষি ও বীজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রাণ বৈচিত্র্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। কৃষি ব্যবস্থার কাঠামো গড়ে উঠেছে এক কথাতেই বলা যায় নারী সমাজের বহুবিধ জ্ঞান, পরিশ্রম এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের নারীসমাজ পরিশ্রম করেই ঘরে ঘরে বিভিন্ন প্রকারের কৃষি বীজ উৎপাদনের মধ্য দিয়েই পুরুষদের চাষাবাদের জন্য সহযোগিতা করে থাকে। পাশাপাশি পরিবার কিংবা সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেই তাঁদের ভূমিকাও সারা বাংলাদেশ জুড়ে এক ধরনের ঐতিহ্যপূর্ণ সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। আর এ দেশের গোল্ডেন গার্লরা যে আমাদের চরম শক্তি। গোল্ডেন গার্ল তথা আমাদের গার্মেন্টস-নারীরা তো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনেক সাফল্য এনেছে। তাঁদের এ সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে এবং তাঁরা অবিরাম পরিশ্রম করেই এ দেশের সুনাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে কিংবাা শহরে গরিব-অসহায় মেয়েদের বাল্যবিবাহের শিকার হয়, আবার অনেক নারীরাও যেন নেশায় আসক্ত হয়়ে যাাচ্ছে। এই সন্তানদের তো মানুষ করতে হবে। এমন সন্তানকেই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার দোষ বা দ্বায় সরকারের নয়। তবুও এ আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবন্ধী নারী সহিত সকল নারীসমাজের আত্মমর্যাদা, বাল্যবিবাহ এবং নেশায় আসক্ত থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা নিয়েছে। সুুতরাং পরিশেষেই একটি কথা বলি, নারীরা কখনই কোনো দুর্বল মানুষ নয়। কেউ নারী হয়ে জন্মায় না। সমাজ একটি মানব শিশুকে ধীরে ধীরে নারী’তেই পরিণত করে। শৈশব থেকে হাজারো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হতেই হয় “নারী”। পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নারীরা নিজেই নিজেকেই অবলা ভাবতে শিখে। নারীর মন ও মননের বিকাশের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে, তাদের কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার মতো সে দুর্বিসহ এবং অসহায় জীবন আর নেই। তাই নারীকে ভাঙতে হবে তার শৃঙ্খল। মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন কিংবা একটি সম্মানজনক জীবন নারী পেতেই পারে। তাই “শেখ হাসিনা” যোগ্য মানুষ হিসেবেই বাঁচার অধিকার যেন নারী সমাজকে নিশ্চিত করছে। তিনি বলেন, সমাজ তখনই পরিবর্তন হবে, যখন এই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সকল পুরুষদের প্রতি আহ্বানসহ প্রত্যেকে নারীদের উন্নততর জীবনচর্চারও নির্দেশনা দিয়েছে। (নজরুল ইসলাম তোফা- কলামিষ্ট)
b943941d-e401-4f83-8531-c97aee05ec94
নজরুল ইসলাম তোফা, সময় সংবাদ বিডি-ঢাকাঃ পরিবেশ অবক্ষয় কিংবা ব্যাপক দূষণের ফলে সারা বিশ্ব আজ অনেকাংশেই বিপর্যস্ত। মানবজীবন, প্রাণীজগৎ, জীববৈচিত্র্য যেন হুমকির সম্মুখীন। তাই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্যোগেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ বিশ্বের কিছু দেশে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপের নানামুখী কর্মসূচি তুলে ধরেছে। আবার পরিবেশ সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ বিকাশের উদ্যোগ জাতীয় সংসদ ভবনেই উত্থাপিত হয়। বলা যায় পরিবেশের যথাযথ কাজও চলছে। শেখ হাসিনার এমন এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আর্থ-সমাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেই একটি নতুন মাইলফলক হবে। শেখ হাসিনার বৃহৎ উদ্যোগ বৃক্ষ রোপণ এবং তাকে নিধন রোধেই যেন বহু পদক্ষেপ থাকে। তিনার নির্দেশেই সারা বাংলায় প্রতিটি নাগরিকের বাড়ি ও আশপাশে একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপণের যে আন্দোলন আজ অবধি তা দৃশ্যমান। শুধুই কি বৃক্ষ কিংবা গাছ রোপণ তা কিন্তু নয়, এ দেশের খাল-বিল, নদী-নালা, জলাধার সংরক্ষণেও যেন আন্দোলন চলছে এবং তাকে এগিয়ে নেয়ার জন্যেই কৃতিত্ব কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে। বৃক্ষমেলা কিংবা বৃক্ষরোপণ সপ্তাহে গাছের প্রতি মানুষের অনেকাংশে মমত্ব যেন দেখা যায়, সুতরাং তার জন্যে তাঁকে সকল প্রশংসা এবং সাধুবাদ দিলে ভুল হবে না। দেশব্যাপী নদী বা খাল উদ্ধার কিংবা জলাধার নিশ্চিত করণেই শেখ হাসিনা তাঁর সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে কঠোর নির্দেশ দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা কিংবা নান্দনিকতা বিকাশেই সচেষ্ট ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ চিন্তাপ্রসূত বলতে হয়। ইতোমধ্যে তিনি এমন ‘বিশেষ উদ্যোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউনেস্কো ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শান্তিবৃক্ষ’ সম্মাননা তুলে দেয়ার সময় ইউনেস্কোর প্রধান “ইরিনা সেকোভা” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিল তিনিই একজন সাহসী নারী। বিশ্ব পর্যায়েও প্রধানমন্ত্রীর নারী এবং কন্যা শিশুদের ক্ষমতায়নে রয়েছে জোরালো কণ্ঠ। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক ঝুঁকিতেও বাংলাদেশ তার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকাই রেখেছে। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় গৃহীত এক উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার প্রাপ্তিতে বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এনে দিয়েছে অনন্য স্বীকৃতি- তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায় যেখানে তার তুলনা বলা যায়, তিনি নিজেই। আবার একই বছর ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘে এক পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারে সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্যেই বেছে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবেশগত ভাবে যেন নাজুক অবস্থায় থাকায় সৃষ্ট হয় প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ। এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং প্রগতির সঠিক রূপকার হিসেবেই সফল নেতৃত্বাধীন এই সরকারের গৃহীত সুদূরপ্রসারী নানান পদক্ষেপ, জলবায়ু এবং পরিবেশ ইস্যুতে বিভিন্ন উন্নয়ন করেন। জলবায়ুগত পরিবর্তনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার জন্যেই তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে সম্মানীত করাও হয়েছিল। এমন ভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রশংসাও কুড়িয়েছে। “শান্তিবৃক্ষ” সম্মাননা নেয়ার সময় শেখ হাসিনা তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে বলেছে, ২০১৫ পরবর্তী সময়ের মধ্যেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে আমরা আমাদের রূপকল্প-২০৪১ সালের ভিত্তিতেই একটি উন্নত, সু শিক্ষিত ও বিজ্ঞান মনস্ক সমাজ, রুচিশীল পবিবেশ গঠনের সোপান রচনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হলো, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর এই কারণে পরিবেশ সংরক্ষণ করা কিংবা তার বিপর্যয় রোধের বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছিল এবং দেখছে। তাই সুদক্ষ আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান হিসেবেই এমন এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে পরিবেশ সুরক্ষা ও তার পক্ষে জনসচেতনতা তৈরিতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার দেশের পরিবেশের ব্যাপারে যেন কোনো ধরনের ছাড় দিতে নারাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুরধার যুক্তি উত্থাপন এবং যোগ্য নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন গুলোতে উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশে যেন পরিবেশে সুরক্ষায় একটি তহবিল গঠনে সম্মত হয়। এরই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত হয়, এই তহবিলের বড় অংশই ব্যয় হবে বাংলাদেশ সহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোতে। বিশ্বজুড়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সুরক্ষায় এই বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে প্রশংসিত হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক কিছুকথা ইতিহাসের আলোকেই চলে আসতে পারে। তা হলো, আন্তর্জাতিক ভাবেই ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে জুনে সুইডেনের একটি স্টকহোমে অনুষ্ঠিত মানব পরিবেশের উপর ১ম জাতি সংঘের সম্মেলনে পরিবেশ সুরক্ষা এবং দুর্যোগ প্রবণ দেশ গুলোর প্রতি দৃৃষ্টি দেয়়ার আলোচনার সূত্রপাত ঘটে। এমন এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যেন বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতি সংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭তম অধিবেশনে অনেক সিদ্ধান্তে তারা উপনীত হন। তাই তো প্রতি বছর পাঁচ জুনেই “বিশ্ব পরিবেশ দিবস” পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই পরিবেশ বিষয়ক এক ঘোষণা হলে পার হয়ে যায় “এক দশক”। কিন্তু এমন এ এক দশকেই দেখা যায়, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় ভাবেই যেন পরিবেশ সংরক্ষণ বা গণসচেতনতা অগ্রগতিটা ছিল খুবই ধীর। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত “ধরিত্রী” সম্মেলনে গৃহীত এজেন্ডা ২১ বাস্তবায়ন এর অংশ হিসেবে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে- “জাতীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা” কার্যক্রম (নমাপ)। পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ইং এবং “পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা” ১৯৯৭- এর আওতায় নিয়মিত ভাবেই পানি, মাটি এবং বায়ু দূষণের মনিটরিংয়ের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে প্রণীত হয় ”পরিবেশ নীতি” এবং ”পরিবেশ সংরক্ষণ আইন” কার্যকর হয় ১৯৯৫ সালে। আবারও ১৯৯৭ সালে জারিকৃত বিধিমালার অধীনে দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ এবং সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা নতুন শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণেই ”ছাড়পত্র” গ্রহণ প্রথাও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। শুধু কি শিল্প ক্ষেত্রেই তা কিন্তু নয়, সরকারি এবং বেসরকারি যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেই যেন ছাড়পত্র গ্রহণ পদ্ধতি প্রবর্তনের নজির রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চারটি শিল্প সেক্টরের জন্য পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। অত্যধিক জনসংখ্যা, দেশীয় মানুষ এর তুলনায় সম্পদের সীমাবদ্ধতা, দেশের মানুষের পরিবেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতার ছিল কম, নদ–নদীর পানি দূষণ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এসব সমস্যার মুখোমুখি বাংলাদেশ। পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজন সকল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় ও শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত উদ্যোগ আসলেই অবাক করার মতোই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখাতে অনেক কাজ করেছে। আর এমন লক্ষ্যেই একটি প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে আন্তর্জাতিক ভাবেই অনেক আহ্বান পেয়ে থাকে। পরিবেশকে ধ্বংস, বনকে দখল, নদী-খাল দখলসহ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে কিংবা কোনো কারণেই হয় বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে এ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণেই। পরিবেশের জন্যে হুমকি কিংবা ক্ষতিকর কোনো গোষ্ঠী বা শক্তিকেই শক্ত ভাবেই প্রতিহত করতে বদ্ধ পরিকর সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট দপ্তর। আসলেই বর্তমান সরকার মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে যে বাংলার ধরিত্রী সবুজ থাকলে মানুষের প্রাণ সবুজ থাকবে- আর মানুষের মন-প্রাণ সবুজ থাকলে তার জীবনী শক্তি, কর্মপন্থা ও উদ্যম বহুগুণেই বেড়ে যাবে। আর এই সব বেড়ে গেলে তা জাতীয় জীবনে সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করেন শেখ হাসিনা। আর এই কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের মোট জনশক্তির অর্ধেক নারী। এই নারী সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির সহায়ক শক্তি। নারীর হাতে পরিবেশ, প্রকৃতি সঠিক পরিচর্যা পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিচর্যা এবং সুরক্ষায় তার অবস্থান থেকে পরিষ্কার। দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেই তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যার যার জায়গা থেকেই নিবেদিত ভাবে পরিবেশ সংক্রান্ত কাজ করে যাওয়ার জন্যেই উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে। পরিবেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে- আর মানুষ বেঁচে থাকলে দেশও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ পরিবেশ বা মানুষ একটি আরেকটির পরিপূরক। কৃষক, জেলে, কারুশিল্পী এবং নারীদের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্যেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কৃষক, জেলে, কারুশিল্পী, নারীরা দিনে দিনেই অধিকতর ঝুঁকিতে পড়ছে। তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। কৃষি বা খাদ্য নিরাপত্তার দিকে অনেক ভালো ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রেই সারা বিশ্ব সম্প্রদায় এবং ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। স্বল্প আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোকে রক্ষা করার জন্য প্যারিস চুক্তিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ উন্নয়ন কর্ম কাণ্ডে মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে এবং আগামীতেও করবে।প্রান্তিক মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরের মানুষকেই উন্নয়ন কর্ম কাণ্ডে একীভূত করেই এমন বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে নান্দনিক পরিবেশের জন্য একধরনের যুদ্ধে নেমেছে। বঙ্গবন্ধু ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতেই তিনি এমন যুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকেও এক সুতোয় গেঁথেছে। সুতরাং তাঁরই এই ধারাবাহিকতার সুফল দিনে দিনে পাচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ। এমন বাংলাদেশ আজ আর বিশ্বের তথাকথিত দেশসমূহের কাছে পিছিয়ে পড়া দেশ নয়। বিশ্বের বহু দেশের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন আর অগ্রগতির রোল মডেল। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় ও ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালের মধ্যেই এমন দেশকে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য মুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে এহার দিতেই যেন আপ্রাণ চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের জন্যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, আবার সেই অনুযায়ী পরিবেশ সংক্রান্ত কাজও এগিয়ে চবে।
5260934b-a3b4-4f35-b626-689f6d2e2c3f
চাকরিচ্যুত ২ ফাস্ট অফিসারকে বাঁচাতে ১৮ ক্যাডেট পাইলট নিয়ে ষড়যন্ত্র!৩ জুন, ২০১৪ ১১:১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ এই লেখাটি 4009 বার পঠিত এভিয়েশন নিউজ: প্রতারণার কারণে কাতার এয়ারওয়েজ থেকে চাকরীচ্যুত বিমানের সাবেক দুই ফাস্ট অফিসারকে গোপনে নিয়োগ দিতেই পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল। অভিযোগ এই দুই ফাস্ট অফিসার তার ঘনিষ্ট বন্ধু। মূলত শামীম নজরুলের যোগসাজসে দুই ফাস্ট অফিসার বিমান থেকে ভুঁয়া রিলিজ অর্ডার নিয়ে কাতার এয়ারলাইন্সে চাকরী নিয়েছিল। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সম্প্রতি কাতার এয়ারলাইন্স দু‘জনকে চাকরীচ্যুত করে। চাকরী হারিয়ে এখন তারা আবার শামীম নজরুলের শরনাপন্ন হন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত একারণেই ১৮ ক্যাডেট পাইলটকে ট্রেনিং না করিয়ে উল্টো নতুন করে পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। শনিবার এই ঘটনাটি বিমানের পরিচালণা পর্যদের সভায় আলোচনা হলে তোপের মুখে পড়েন শামীম সিন্ডিকেট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন বোর্ড মেম্বার জানান, কথা-বার্তা দেখে মনে হচ্ছে, ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাইতো সামান্য একজন ফাস্ট অফিসার হয়েও সে প্রতিটি এক্সিকিউটিভ পরিচালকের বৈঠক, বোর্ড সাব কমিটির বৈঠক এমনকি কোন কোন বোর্ড মিটিংয়েও উপস্থিত থাকেন। আর প্রতিটি কাজেই হস্তক্ষেপ, খরবদারিত্ব ও কতৃত্ব করেন। সম্প্রতি মিশর থেকে আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট লীজ নেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছে শামীম নজরুল। এখাত থেকে বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্যও করেছে ওই সিন্ডিকেট। এছাড়া টেন্ডার ছাড়া জিকাসের ১৫ বছরের পুরনো দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আরো ৫ বছরের জন্য রাখার বিষয়েও শামীম নজরুলের হস্তক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, শামীন নজরুল আগে এয়ার কন্ডিশন মেশিন (এসি) বিক্রির ডিলার ছিলেন। পরবর্তীতে ফাস্ট অফিসার হিসাবে বিমানে যোগ দেয় । এক পর্যায়ে অলৌকিক ক্ষমতা বলে শামীম নজরুল এখন বিমানের গডফাদার হয়ে ওঠেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ মুলত নিজের বন্ধুদের আবার বিমানে ঢুকাতে ১৮ ক্যাডেট পাইলট নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে শামীম। নিয়ম অনুযায়ী যে কোন বৈমানিককে ট্রেনিং নেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত পুরণ করে মুসলেকা দিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে ট্রেনিং শেষে ৫ বছরের মধ্যে বিমান ছেড়ে অন্য কোথাও যোদ দিতে পারবে না। কিন্তু শামীম নজরুলের ঘনিষ্ট বন্ধু হওয়ায় ওই দুই ফাস্ট অফিসার এসব মুসলেকার তোয়াক্কা না করে কাতার এয়ারলাইন্সে যোগ দেন। নিয়ম অনুযায়ী যোগদানের আগে তাদেরকে বিমান থেকে রিলিজ অর্ডার (ছাড়পত্র) ও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু মুসলেকা দিয়েছিল তাই বিমানের প্রশাসন বিভাগ তাদের এনওসি দেয়নি। অভিযোগ এরপরই দুই ফাস্ট অফিসার সহকারী চীফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন শামীম নজরুলের যোগসাজসে ভুঁয়া রিলিজ অর্ডার ও ভুঁয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকট (এনওসি) তৈরী করে কাতারে জমা দিয়ে চাকরীতে যোগদান করে। জানা গেছে বিষয়টি ফাঁস হয়ে বিমানের প্রশাসন বিভাগ থেকে দুই অফিসারের বিরুদ্ধে কাতার এয়ারলাইন্সের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। একই সঙ্গে জমা দেয়া রিলিজ অর্ডার ও এনওসি দেখাতে বলা হয়। চিঠি পেয়ে কাতার এয়ারলাইন্স দুই ফাস্ট অফিসারের সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয় বিমানে। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে সব কাগজপত্র ভুয়া ও জাল জালিয়াতি করে বানানো। বিষয়টি কাতার এয়ারলাইন্সকে জানানো হলে দুই ফাস্ট অফিসারকে চাকরীচ্যুত করা হয়। জানাগেছে তারা এখন শামীম নজরুলকে ধরে আবার বিমানে ঢুকতে পাঁয়তারা করছে। এদিকে ১৮ ক্যাডেট পাইলটকে গত তিন বছর বসিয়ে রেখে নতুন করে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় উঠে বিমানে। শনিবারের পরিচালণা পর্যদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বেশিরভাগ বোর্ড মেম্বার এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আÍঘাতি ও অমানবিক বলে উল্লেখ্য করেছেন। তারা বলেছেন, একজন ক্যাডেট পাইলট জন্ম দিতে একটি পরিবারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়। অনেকে সারাজীবনের সহায়-সম্বল বিক্রি করে সন্তানকে বৈমানিক হিসাবে তৈরী করেন। একজন বৈমানিকের স্বপ্নই হচ্ছে যে কোন ভাল এয়ারলাইন্সে চাকরী করা। কিন্তু একজন সামান্য ফাস্ট অফিসারের কলমের খোঁচায় এতগুলো জীবনের স্বপ্ন মুহুর্তে ধুলিস্যাত হয়ে যাবে এটা কোন রহস্য কিংবা এডভেঞ্চার নয়। বিমান জেনে শুনে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। ৩ বছর পরে এসে কেন বলা হচ্ছে তাদের ফ্লাইং আওয়ার কম! এর জন্য যদি কেউ ক্ষতিপুরণ মামলা করে তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শামীম নজরুল নিজে একজন ফাস্ট অফিসার হয়ে এতগুলো ক্যাডেট বৈমানিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন? তার নিয়োগ নিয়েও তো প্রশ্ন রয়েছে। সামান্য একজন ফাস্ট অফিসার হয়ে কিভাবে এতবড় একটি পোস্টে নিয়োগ পেল এটাই রহস্যজনকক? একজন সহকারী চিফ অব ট্রেনিং হতে হলে কমপক্ষে ১৫/১৬ বছরের বৈমানিক হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু শামীম নজরুলের তা না থাকা শর্তেও কিভাবে এই পোস্টে তিনি নিয়োগ পেলেন? এভিয়েশন নিজউজের কাছে একাধিক বোর্ড মেম্বার এসব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে তারা ম্যানেজমেন্টের কাছে বিষয়টি জানতে চাইবেন বলেও জানান। শনিবারের বোর্ড সভায় প্রশ্ন উঠে দেশীয় উদীয়মান ক্যাডেট পাইলটদের ট্রেনিং না করিয়ে তাদের পরিবর্তে বিদেশী পাইলট এনে এই পর্যন্ত বিমানের কত টাকা গচ্চা গেছে তা খতিয়ে দেখার। একই সঙ্গে অবিলম্বে দেশীয় ক্যাডেট পাইলটদের ট্রেনিং করিয়ে তাদের ফ্লাইটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। পাশাপাশি প্রতারনা করে যে দুই পাইলট কাতার এয়ারলান্সে যোগদান করেছিল তারা যাতে কোনভাবেই বিমানে যোগদান করতে না পারে সেজন্য বিমানের এমডিকে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রয়োজনে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা যায় কিনা সেটাও দেখার জন্য বলা হয়। বিমান বোর্ড চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে গত শনিবার এই বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে জানাগেছে বিমানের বিতর্কিত ফাস্ট অফিসার ও বিতর্কিত নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী চীফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন শামীম নজরুলের কারণে দেশীয় ক্যাডেট পাইলটদের বসিয়ে রেখে বিদেশী পাইলট নিয়োগ দেয়ায় বিমানকে গত ৩ বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছে। বিমানকে এভাবে ক্ষতির মুখে ফেলার বিষয়টি অবিলম্বে দুদককে (দুনীতি দমন কমিশন) দিয়ে তদন্ত করারও দাবি উঠেছে বিমান থেকে। অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানে উড়োজাহাজ লীজ, সফটওয়ার ক্রয়, সিমুলেটর ট্রেনিং, জনবল নিয়োগসহ প্রতিটি কাজে শামীম নজরুল জড়িত। এসব খাত থেকে তার সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি মিশর থেকে দুটি ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট আনার নেপথ্যে কাজ করেছে ফাস্ট অফিসার শামীম নজরুল। অভিযোগ এ খাতে শামীম সিন্ডিকেট কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছে। এছাড়া বোর্ড মিটিংয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফটকে আবারো বোর্ডে উপস্থাপনের বিষয়ে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছে শামীম নজরুল। জানা গেছে জিকাসের কাছ থেকে এই দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফট নেয়ার সময়ও ব্যাপক দুনীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। জানা গেছে, আরএফপিতে নিধারিত সময়ের পর নতুন করে উড়োজাহাজ দুটি এক্সটেনশন করার বিষয়ে কোন কথা বলা ছিল না। কিন্তু প্ল্যানিং বিভাগের একটি চক্র জিকাস থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে গোপনে চুক্তি করার সময় মেয়াদ শেষে আরো তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে বলে উল্লেখ করে। যা বিমান ম্যানেজমেন্টও কিছুই জানে না। অভিযোগ উঠেছে মিশরের দুটি এয়ারক্রাফট আনার জন্য ২টি এয়ারবাসকে ২ মাসের জন্য গ্রাউন্ডেট করে ইজিপ্ট এয়ারকে নগদ ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। অভিযোগ আছে এই ৫০ কোটি টাকার একটি বড় অংশ ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের কোষাগারে জমা না হয়ে সেই টাকা কানাডায় পাচার হয়ে গেছে। সংশ্লি ষ্টরা এই অভিযোগটি দুদককে দিয়ে তদন্ত করানোরও দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে বিমানে চাকরী করলেও শামীম নজরুলের সব সহায় সম্পত্তি কানাডায়। তিনি নিজেও একজন কানাডিয়ান নাগরিক। সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বিমানে ২০ জন ক্যাডেট বৈমানিককে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে প্রথম ব্যাচের ১০ জন হলেন অনিতা রহমান (রোল-২৩), আতায়েব যোবায়ের জাফর (রোল-১৬), সাদাত জামিল (রোল-১০), ইন্তেখাব হোসাইন (রোল-৪৪), মোনজরিন রেয়ান (রোল-৭), মুনতাসির মাহবুব (রোল-২০), আবু মাসফিক (রোল-১), আবদুল হামিদ মেহেদী ( রোল-৩৭), নাসিইব রহমান নাফি (রোল-২২), সারওয়াত সিরাজ অন্তরা (রোল-১৮)। অপর দিকে দ্বিতীয় ব্যাচের ১০ জন হলেন, মোহাম্মদ শফিকুর রহমান (রোল-৪), মহসিন কামাল (রোল-১৫), এলিশ মাহমুদ ইমরান (রোল-১৪), মন্টি হাসান (রোল-২৫), রিশাখ বিন মনজুর (রোল-২), আরেফিন সাজিদুর রহমান (রোল-১১), সরফরাজ ইয়ামিন (রোল-৪৯), শাহী উদ্দিন আহমেদ ইজাম (রোল-১৯), মুজাহিদুল ইসলাম (রোল-২৮) মনজুরুল ইসলাম। পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়েছে প্রথম ব্যাচের ১০ জনকে বিমানে যোগদান এবং দ্বিতীয় ব্যাচের ১০ জনকে ওয়েটিং ফর ফারদার ডিসিশান হিসাবে রাখা হয়েছে। এরপরই বিমানের ট্রেনিং শাখায় যোগ দেন বিতর্কিত এই ফাস্ট অফিসার ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে খোদ বিমান বোর্ডকে পর্যন্ত শামীম নজরুল নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডেট পাইলটদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। জানা গেছে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডেট পাইলটদের ৬ মাসের ট্রেনিং সম্পন্ন হয়। শুধুমাত্র সিমুলেটর ট্রেনিংসহ দুই মাসের ট্রেনিং হলেই এরা ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাবেন। সেই অবস্থায় ১০ জনের মধ্য থেকে ৪ জনকে সিমুলেটরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুইজন ফেল করে। বাকি দুইজন উত্তীর্ণ হয়ে এরই মধ্যে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভিযোগ আছে, দুইজন ফেল করেছে বাকিরাও ফেল করবে এই অজুহাত দিয়ে বাকিদের আর সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়নি। যদিও ফেল করা দুই ক্যাডেট পাইলটের ফেলের নেপখ্যে বড় ধরনের আন্ডারহ্যান্ড ডিলিংয়ের অভিযোগ আছে। আর এই নেপথ্যে পাইলটের ভুমিকায় কাজ করেছে শামীম। জানা গেছে, নিয়োগ প্রাপ্ত প্রথম ব্যাচের ৮ ক্যাডেট বৈমানিক সিমুলেটর ট্রেনিং পাঠানোর জন্য পে-অর্ডার দিয়ে যেতে রাজি হন। যদি তারা সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে ফেল করেন তাহলে তারা ট্রেনিং বাবদ খরচ হওয়া অর্থ ফেরত দিয়ে বিমান থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই বিমানের কর্তাব্যক্তিদের এই বৈমানিকদের প্রতি মন গলেনি। বিমানের ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক ক্যাপ্টেন ইশরাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাইলে বসে থাকা এসব ক্যাডেট বৈমানিকেরা এবার আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের নেওয়া হবে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, বসে থাকা ক্যাডেটদের মধ্যে অনেকেরই ৫০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর এদের প্রত্যেকেরই ১৫০ ঘণ্টা ফ্লাই করার অভিজ্ঞতা আছে। কম ঘণ্টা ফ্লাই করা ক্যাডেটদের ট্রেনিংয়ে ২০ ঘন্টার জায়গায় ২৫/৩০ ঘন্টা এবং ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করালেই তারা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার হতে পারে। কিন্তু এই ১৮ বৈমানিককে সেই সুযোগ না দিয়ে নতুন করে করে রহস্যজনক কারণে আবারো বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো।
8a883b5c-cc9c-4857-8b73-df2d2125fca1
দেশের প্রাইভেট বিমান সেবায় শীর্ষে ‘ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড’২৩ এপ্রিল, ২০১৪ ৭:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ণ এই লেখাটি 3638 বার পঠিত এভিয়েশন নিউজ: বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি সরকারী বিমান সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এর প্রায় ২৪ বৎসর পর ১৯৯৫ সালে এদেশে প্রথম যাত্রীবাহী বেসরকারী বিমান সংস্থা চালু হয়। পরবর্তী ১৫-১৬ বছরে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বেসরকারী বিমান সংস্থার আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, নভো ও রিজেন্ট ছাড়া বাকী সবগুলোই একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। এসময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই নয় বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই বিমান সংস্থাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। বিমান ব্যবসার এই অবস্থার জন্য শুধুমাত্র অদক্ষ ব্যবস্থাপনা দায়ী তা নয়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনাকারী বাংলাদেশের বিমান সংস্থাসমুহকে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হয় তা হলো অসম প্রতিযোগিতা, তেলের দামের পার্থক্য, বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানি ও রক্ষনাবেক্ষন সামগ্রী আনয়ন সমস্যা, বিমান বন্দরের উচ্চতর চার্জ ইত্যাদি। যার ফলে বাংলাদেশে একাধিক এয়ারলাইন্স চালু হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিমান ব্যবসায় প্রচুর মূলধন প্রয়োজন, কিন্তু বিবিধ কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক বা অন্য আর্থিক সংস্থাগুলো বিমান ব্যবসায় অর্থায়ন করতে উৎসাহ বোধ করেনা। এতসব প্রতিকুলতা সত্ত্বেও ’ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড’ তার কার্যক্রম সফলতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ১০ জুলাই ২০০৭ থেকে একটি ৩৭ আসনের ড্যাশ-৮ ১০০ সিরিজের এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-সিলেট উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। এবং ২৪ শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। বর্তমানে ইউনাইটেড অভ্যন্তরীণ সেক্টরে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ঈশ্বরদীতে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এবং আন্তর্জাতিক সেক্টরে ঢাকা থেকে কলকাতা, কাঠমুন্ডু, কুয়ালা লামপুর, ব্যাংকক, সিংগাপুর, দুবাই, মাস্কাট, জেদ্দা এবং চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ১৪ মে ঢাকা থেকে দোহা এবং জুন মাসে ঢাকা থেকে মদিনা ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রথম স্বাধীনতার পর কোনো বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সরাসরি মদিনা ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ইউনাইটেড সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রায় ৩০টি জেলাকে আকাশ পথে সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। নানা প্রতিকুলতা, সংগ্রাম ও প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মাত্র সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন্সে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে অত্র কোম্পানীর বহরে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের মোট ১১টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজি বাজারে এভিয়েশন সেক্টরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ একমাত্র পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী। যা ২ জুলাই ২০১০ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জে তালিকা ভুক্ত হয়। বৃহত্তর এ এয়ারলাইন্সে সহ¯্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ শেয়ার হোল্ডার বিনিয়োগ করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এ পর্যন্ত অভ্যন্তরীন রুটে প্রায় ১১ লক্ষ ও আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৮ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করেছে, প্রায় ৪৭ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে এবং প্রায় ৫০০০টন কার্গো পরিবহন করেছে। ই্উনাইটেড এয়ারওয়েজ যখন ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে তখন প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের জ্বালানী খরচ ছিল ০.৫৬ ইউএস ডলার এবং বর্তমানে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের জ্বালানী খরচ ১.০৭ ইউএস ডলার। পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানী খরচ অনেক বেশী। উদাহরনস্বরূপ বর্তমানে মালয়শিয়ায় প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের জ্বালানী খরচ ০.৭৮ ইউএস ডলার। প্রতি লিটারে মালয়শিয়ার তুলনায় বাংলাদেশে ০.২৯ ইউএস ডলার বেশী। যা কোনো এয়ারলাইন্সের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি করে থাকে। বিমান পরিবহন সেবা খাতে টিকিট মূল্যের উপর একধরনের নিয়ন্ত্রন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে তা কার্যকর নাই। ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স নিজেদের মধ্যে মূল্য যুদ্ধে (price war) অবতীর্ণ হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে মালিন্দো, ফ্লাই দুবাই ও এয়ার এশিয়ার মত লো-কষ্ট এয়ারলাইন্সগুলির জনপ্রিয় রুটগুলিতে বিস্ময়করভাবে কমমূল্যে যাত্রী পরিবহন করছে। এই সমস্ত এয়ারলাইন্স এর অবিশ্বাস্য কম মূল্যে টিকিট বিক্রয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশী বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো যাতে এ সমস্ত রুটে অপারেশন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এদের সংগে মূল্য যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটি কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোন বেসরকারী এয়ারলাইন্স টিকে থাকতে পারবে না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে বেবিচক কর্তৃক সেক্টর প্রতি বিমান টিকিটের নূন্যতম মূল্য নির্ধারণ ও তা কার্যকর করলে এ অবস্থা থেকে উত্তরন সম্ভব। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বেবিচক কর্তৃক ধার্যকৃত এ্যারোনোটিক্যাল চার্জ দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলির জন্য একটি বিশাল প্রতিবন্ধকতা। উদাহরনস্বরূপ, একটি এয়ারবাস এ-৩১০ এয়ারক্রাফ্ট যখন চট্টগ্রাম বা সিলেট থেকে ডমেষ্টিক ফ্লাইট শেষে ঢাকায় অবতরণ করে তখন বেবিচক এর পাওনা হয় ৩৩,৮৩২ টাকা কিন্তু এই একই এয়ারক্রাফ্ট যখন কলকাতা বা পৃথিবীর অন্য কোন এয়ারপোর্ট থেকে এসে অবতরণ করে তখন বেবিচক কর্তৃক এর বিল ধার্য করা হয় ১,৮৬,২৬৪ টাকা। ড্যাশ-৮, এটিআর-৭২ এবং এমডি-৮৩ এয়ারক্রাফ্ট এর ক্ষেত্রেও বিদেশ প্রত্যাগত ফ্লাইটগুলির জন্য ডমেষ্টিক এর তুলনায় প্রায় ৬ গুন বেশী বিল প্রদান করতে হয়। দৃশ্যত মনে হয়, বেবিচক কর্তৃক আন্তর্জাতিক রুটে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলির ফ্লাইট পরিচালনা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশী একটি এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশী রেজিস্টার্ড এয়ারক্রাফটের প্রধান অবস্থান স্থল হচ্ছে ঢাকা। যতবার ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট শেষে ঢাকায় ফিরে আসে ততবারই প্রতিটি এয়ারক্রাফটের জন্যই ডমেস্টিকের তুলনায় ছয়গুন বেশী চার্জ প্রদান করতে হয়। এ নিয়মের কিছুটা পরিবর্তন করা উচিত প্রতিযোগীতামূলক ব্যবসায় বাংলাদেশী বেসরকারী এয়ারলাইন্সের টিকে থাকার জন্য। অন্যদিকে, দেশীয় এয়ারলাইন্স এর এয়ারক্রাফ্ট হওয়া সত্বেও আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারি এয়ারক্রাফ্ট সমুহের পার্কিং চার্জ বিদেশী এয়ারলাইন্স এর এয়ারক্রাফ্ট এর সমহারে ধার্য করা হয়। এয়ারবাসের ক্ষেত্রে যার পরিমান ৪৯২ মার্কিন ডলার এবং এমডি-৮৩ এর ক্ষেত্রে ১৭৮ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে রেজিষ্ট্রিকৃত বাংলাদেশী মালিকানাধীন এয়ারক্রাফ্ট এর পাকির্ং চার্জ আন্তর্জাতিক রেটে ধার্য করা কোনভাবেই সমীচীন নয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ তাদের দেশের নিজস্ব এয়ারলাইন্স সমুহের বিকাশ সাধনের জন্য নানাবিধ সুযোগ বা ছাড় দিয়ে থাকে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও তাদের দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর টিকে থাকার স্বার্থে ৮০ আসনের নীচের কোন উড়োজাহাজের জন্য কোন ল্যান্ডিং চার্জ নেয় না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স সমূহ কখনই এ ধরনের সুবিধা পাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নতুন এয়ারলাইন্সকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মালয়শিয়া সরকারও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডকে মালয়শিয়ায় ৫ বছরের জন্য এ্যারোনটিক্যাল চার্জ মওকুফ করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে কোন প্রাইভেট এয়ারলাইন্স নিজ দেশ থেকে এই নূন্যতম সুবিধাটুকুও পাচ্ছে না। যার ফলে বাংলাদেশে একাধিক এয়ারলাইন্স চালু হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে চালু বেসরকারী বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ সবচেয়ে পুরানো এবং সবচেয়ে বেশী রুটে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করে। শুধুমাত্র সরকারের রাজনৈতিক অংগীকার বাস্তবায়নের জন্য অলাভজনক হওয়া সত্বেও অত্র এয়ারলাইন্স বরিশাল, রাজশাহী, ইশ্বরদী ও সৈয়দপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অথচ, বেবিচক প্রদত্ত সূযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে সবচেয়ে কম প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও এটি বাস্তব যে অত্র এয়ারলাইন্স এর অভ্যন্তরীন ডমেষ্টিক চেক-ইন-কাউন্টারের জন্য সবচেয়ে কম জায়গা বরাদ্দ রয়েছে। অথচ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ডমেষ্টিক কাউন্টারের চৌহদ্দির মধ্যে আর একটি এয়ারলাইন্সকে অতিরিক্ত আর একটি চেক-ইন কাউন্টার বরাদ্দ করা হয়েছে যাদের সর্বসাকুল্যে ফ্লাইট ডিপার্চারের সংখ্যা একদিনে অনধিক ৬টি। এটি ইউনাইটেডের যাত্রী সেবার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং যাত্রীদের চোখে অত্র কোম্পানীর অবস্থানকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুয়াযী প্রত্যেক উড়োজাহাজের সিডিউল মেইনটেন্যান্স (সি চেক) করতে হয় এবং বাংলাদেশে এই অবকাঠামো গড়ে না উঠার কারনে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বাংলাদেশ বিমানসহ প্রত্যেক এয়ারলাইন্সকে বিদেশ থেকে তা করিয়ে আনতে হয়। এই খরচ হতে বাচাঁর জন্য ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ সকল প্রকার মান বজায় রেখে তার নিজস্ব জনবল দিয়ে “সি চেক” করার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সিএএবি কর্তৃক কিছু শর্ত যেমন নিজস্ব হ্যাংগার থাকা, বিদেশী ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ ইত্যাদি আরোপ করায় তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। অথচ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০০৬ সাল থেকে নিজস্ব হ্যাংগারের জন্য কিছু জায়গা বরাদ্দ পাবার জন্য সিভিল এভিয়েশন এর সাথে নানান স্তরে প্রতিনিয়ত দেন-দরবার করে আসছে। অথচ, অত্যন্ত দুঃখের সাথে উল্লেখ্য যে, হ্যাংগারের জন্য অদ্যাবধি কোন জায়গা অত্র কোম্পানীকে বরাদ্দ করা হয়নি। হ্যাংগার না থাকার কারনে প্রয়োজন অনুযায়ী মেইনট্যানেন্স এর অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি বিধায় কোম্পানীর লক্ষ লক্ষ ডলার অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। পরিতাপের বিষয়, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর পরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেক হেলিকপ্টার অপারেটিং কোম্পানীকেও হ্যাংগারের জন্য বিশাল জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে যা কোনক্রমেই বোধগম্য নয়। সাড়া বিশ্বজুড়ে হাতেগোনা দু-একটি ছাড়া প্রায় প্রতিটি এয়ারলাইন্স নানা প্রতিকুলতার মধ্যে কোনরকমে টিকে আছে এবং ইতিমধ্যে অনেক বড় বড় এয়ারলাইন্স দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এরকম একটি প্রতিকুল পরিবেশে শক্তিশালী বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে অসম প্রতিযোগিতা করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ টিকে আছে এবং এতদুর পর্যন্ত এগিয়েছে। এ পর্যায়ে সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া আরো অগ্রসর হওয়া বা টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। গত ২০ মার্চ ২০১৪ তারিখে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর নিকট পাওনা সারচার্জসহ প্রায় ৫৮ কোটি টাকা কিন্তু ৬ই এপ্রিল ২০১৪ তারিখে ১৭দিনের ব্যবধানে সিভিল এভিয়েশন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অবগত করেছে সারচার্জ বাবদ পাওনা ৭৭ কোটি টাকা। রেগুলেটরি অথরিটি একই অপারেটর এর কাছ থেকে ১৭দিনের ব্যবধানে অতিরিক্ত ১৯ কোটি টাকা বেশী দেখিয়ে যথোপুযুক্ত হিসাব নির্ধারন না করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচার করা কতটুকু যুক্তিসংগত হয়েছে? ১৭ দিনের ব্যবধানে ১৯কোটি টাকার হিসাবের অসংগতি বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এটা কি রেগুলটরি অথরিটি কর্তৃক ইচ্ছাকৃত কোন অপারেটর এর সম্মানহানির চেষ্টা নাকি শুধুই হিসেবের ভুল? সিভিল এভিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর কাছে ৭৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যার মধ্যে মূল বকেয়া ৪৬.৩২ কোটি টাকা যার মধ্যে এম্বারকেশন ফি ৮.২৪ কোটি টাকা এবং কম-বেশী ৩২ কোটি টাকাই সারচার্জ। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বেবিচকের বকেয়া পাওনা আগামী ৮ বৎসরের মধ্যে ৯৬ কিস্তিতে এম্বারকেশন ফি পরিশোধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বরাদ দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ১১টি এয়ারক্রাফটের মধ্যে তিনটি এয়ারক্রাফট অচল। প্রকৃতপক্ষে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কোন এয়ারক্রাফটই অচল নয়। বর্তমানে ৩টি এয়ারক্রাফট রুটিন মেইনটেন্যান্স তথা সি-চেক এ আছে। ৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সিভিল এভিয়েশন এর সম্মেলন কক্ষে মাননীয় সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং সিভিল এভিয়েশন এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিনিময় হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই মিটিং এর কার্যবিবরনীতে কিছু অপ্রাসংগিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও সেই সব বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছিল না। কারন নতুন এয়ারক্রাফট ক্রয় কিংবা এয়ারক্রাফটের ডি-রেজিস্ট্রেশন না করানোর সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক। যা নেয়ার ক্ষমতা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালনা পরিষদের, রেগুলেটরি অথরিটির নয়। সিভিল এভিয়েশনের সিদ্ধান্তের দীর্ঘ সূত্রিতার জন্য, এ্যারোনোটিক্যাল ও নন-এ্যারোনোটিক্যাল ফি এর মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জ ও ২০১৩ সালের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের হিসেব অনুযায়ী পাওনা প্রায় ৭৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। অযোক্তিকভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে উদাহরন হিসেবে বন্ধ হওয়া জিএমজি, পারাবাতসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সের কথা বলা হয় বেবিচক থেকে। বেবিচকের সময়োপযোগী কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন না করার কারনে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ইতোপূর্বে বন্ধ হয়ে গেছে। এটা বেবিচকের গর্ব করার কোন বিষয় নয় বরং এটা দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক ব্যাপার যেকোন রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষের জন্য। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিভিন্ন কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু এইসব বিমান সংস্থার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বেসামরিক বিমান পরিবহন চলাচল কর্তৃপক্ষ কি আদৌ এর অনুসন্ধান করে কিছু প্রস্তাবনা রেখেছে নাকি বন্ধ হওয়ার মিছিলে চলমান এয়ারলাইন্স গুলো যোগদান করবে তার অপেক্ষায় আছে? বেসরকারী বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের- অন্য কারো নয়। যখন থেকে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তখন থেকেই বেশ কয়েকটি দাবী সব এয়ারলাইন্সের কাছ থেকেই ছিল। সেগুলো হচ্ছে- জেট ফুয়েলে ভর্তুকি, এরোনোটিক্যাল ও নন-এরানোটিক্যাল চার্জ মওকুফ অথবা ভর্তুকি, এম্বারকেশন চার্জ কমানো, হ্যাঙ্গার সুবিধা, সি চেক ও ডি চেকের মতো হেভী চেকিং নিজ দেশে করার অনুমতি, এয়ারক্রাফটের পার্টস আমদানী নীতির সহজীকরন কারন প্রতিটি পার্টসই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয় ইত্যাদি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে কোন গঠনমূলক কর্মকান্ড দেখা যায়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে বেবিচকের কালক্ষেপনের দায়ভার বহন করছে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো। কারন দায়ভার বহন না করলে এয়ারলাইন্স বন্ধ করে দেয়া হবে যা রেগুলেটরি অথরিটির নিত্যদিনের রুটিন হমকির একটি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে বন্ধ করার হুমকি না দিয়ে বরং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরীর প্রতি উদ্যেগী হওয়াই বাঞ্চনীয়। যেখানে বর্তমান সরকার প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যবসা উপযোগী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো বেবিচককে এইসব দাবী সংবলিত চিঠি দিয়েছে কিন্তু কোনটারই কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে তাদের দাবী সংবলিত চিঠি দিয়েছে। পরিশেষে সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর একটি চিঠির যৌক্তিক দাবীর প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং মন্ত্রণালয় উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর জন্য দেশের সকল অভ্যন্তরীন বিমানবন্দরের যাবতীয় এ্যারোনোটিক্যাল ও নন-এ্যারোনোটিক্যাল চার্জ আগামী ৫ বছরের জন্য মওকুফ করার জন্য বেবিচককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ প্রদান করে যার কপি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও দিয়েছিল সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়। উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, মেম্বার অপারেশন সহ বিমান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ সেই মিটিং এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে অভ্যন্তরীন বিমানবন্দরের যাবতীয় এ্যারোনোটিক্যাল ও নন-এ্যারোনোটিক্যাল চার্জ আগামী ৫ বছরের মওকুফ সংবলিত চিঠির প্রত্যাশায় ছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাত মাস পার হওয়ার পর গত ১৪ই মার্চ ২০১৩ তারিখে মন্ত্রণালয় পুনরায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে পুনরায় পূর্বের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করার জন্য তাগাদা দেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বেবিচক সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আরো ছয় মাস পর ৯ই অক্টোবর ২০১৩ তারিখে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপন করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে শুধুমাত্র রুট নেভিগেশন, ল্যান্ডিং ও নিরাপত্তা চার্জ ২৪ জুন ২০১৩ থেকে তিন বছরের জন্য মওকুফ করে চিঠি দেয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় এক বছর পার করে দিয়েছে বেবিচক যা রেগুলেটরী অথরিটির কাছ থেকে কোন প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশা করে না। উল্লেখ্য যে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ একমাত্র এয়ারলাইন্স, অলাভজনক হওয়া সত্বেও অভ্যন্তরীন সকল বিমান বন্দরে যাত্রী পরিবহন করছে। জনগণকে প্রদত্ত সরকারের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় বরিশাল, ঈশ্বরদী, রাজশাহী ও সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে কাঙ্খীত সহযোগিতা পেলে আমরা এ সকল বিমান বন্দরে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা ছাড়াও দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত বিমান বন্দর গুলিতেও ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য, বহু প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে অভ্যন্তরীন বিমান বন্দরে যে সকল চার্জ মওকুফ করা হয়েছে তার পরিমান দাঁড়ায় এক বছরে আনুমানিক সর্বাধিক দেড় কোটি টাকা। অথচ এ সকল বিমান বন্দর সমূহে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনরা জন্য বাৎসরিক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা কোম্পানী কর্তৃক ভর্তুকী দিতে হচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে। সিভিল এভিয়েশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা, বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্স জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে ১৩৪ কোটি টাকা, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর কাছে ৭৭ কোটি টাকা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এর কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্স এ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইন্স, এয়ার পারাবাত, বেস্ট এয়ার, এভিয়ানা এয়ারওয়েজসহ ফ্লাইট অপারোশন বন্ধ করা অনেক বিদেশী এয়ারলাইন্স এর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা পাবে বেবিচক। বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই সব এয়ারলাইন্স আদৌ পাওনা পরিশোধ করবে কিনা সন্দেহ? গত কিছু দিন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এওসি নবায়ন নিয়ে বেবিচকের পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ। শর্তসাপেক্ষে প্রথমে সাতদিন পরে তিনমাস ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এওসি নবায়ন করে বেবিচক। বেবিচকের এই অপতৎপরতায় কে লাভবান হবে? সরকার, বেবিচক না যাত্রী সাধারণ। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এর কাছ থেকে বেবিচকের বিপুল পরিমান বকেয়া জমা থাকলেও সিভিল এভিয়েশনকে কখনই বিমানের এওসি নবায়নের ব্যাপারে কালক্ষেপন করতে দেখা যায়নি। এধরনের দ্বিমুখীনীতি অবশ্যই যে কোন ব্যবসার জন্য প্রাইভেট সেক্টরকে নিরোৎসাহী করে তুলবে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দেশের প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সকে বাৎসরিক চুক্তি মোতাবেক জায়গা বরাদ্দ দিয়ে থাকে। গত ২০০৮-৯ অর্থ বছরে প্রতি বর্গফুট জায়গার ভাড়ার চেয়ে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে জায়গার ভাড়া প্রায় দ্বিগুন। এধরনের ভাড়া বৃদ্ধি করার পূর্বে কোন প্রকার চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে না, যার ফলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
3395d942-5b2a-48ce-a6dd-a8fedcf54541
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দুই রূপ১৫ এপ্রিল, ২০১৯ ৮:৩৩:১১ পূর্বাহ্ণ এই লেখাটি 112 বার পঠিত পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দুই রূপ। এক যুগের বেশি সময় পরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পাশাপাশি আশাবাদীও হয়েছি। উদ্বিগ্ন হওয়ার মূল কারণ, তিন লাখ কোটি টাকার বেশি উন্নয়নযজ্ঞ যে জনপদে, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা ক্রমেই ডালপালা বিস্তার করছে। আর আশাবাদের প্রধান কারণ সরকারের নেওয়া ২৫ মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কয়েকটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার গতিশীলতা। কিন্তু চেষ্টা করেও প্রকল্পওয়ারি অগ্রগতির নির্দিষ্ট রূপটি ধরতে পারিনি। কক্সবাজার–২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সঙ্গে কথা বলে অনুমান হলো, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবে ৫ থেকে ১০ ভাগ বাস্তবায়িত (মুখ্যত জমি অধিগ্রহণ অর্থে) হয়েছে। গত ১০ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়তো খরচ হয়েছে। তবে পর্যটন শহর কক্সবাজারই বাংলাদেশকে উচ্চ–মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে। স্পেশাল ব্রাঞ্চ সূত্রে ট্যুরিজম বোর্ড ১০ এপ্রিল আমাদের বলেছে, ‘ছয় বছরে (২০১০–২০১৭) গড়ে বাংলাদেশে পৌনে ৬ লাখ বিদেশি এসেছেন।’ ২০১০ সালে বিদেশি পর্যটকদের থেকে আয় ছিল মাত্র ৭৯ মিলিয়ন ডলার। এটা বেড়ে দেড় শ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুরোদমে চালু (এ পর্যন্ত ২৪টি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে) হলে এখানে আসা বিদেশি পর্যটকেরা এখান থেকেই দেশে ফিরে যেতে পারবেন। তাঁদের আর ঢাকা শহরের যানজট দেখতে হবে না। ঢাকায় পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির আমাদের বলেন, ‘গত ১০ বছরে পর্যটনের সামর্থ্য বাড়াতে ১৯১ কোটি টাকার সরকারি বিনিয়োগ এসেছে। কিন্তু বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়ন ও ড্রিমলাইনার কেনার মতো (কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে) বিনিয়োগও পর্যটনের অন্তর্ভুক্ত।’ ২০০ কোটি টাকায় মোটেল প্রবাল ভেঙে তৈরি হবে নতুন প্রবাল। কম খরচে তরুণ ব্যাকপ্যাকারদের সমুদ্রবিলাসের জন্য হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে ভিলা হবে, কক্সবাজারের ‘লাবণী’ সাজবে নতুন করে। গত ৪ মার্চ সুরম্য রিসোর্ট রয়্যাল টিউলিপে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর সময় এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথাই মনে হয়েছে।ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনে চেপে ছয় ঘণ্টায় কক্সবাজার (আগামী ৪ বছরে সম্ভব হতে পারে), এরপরে চীনের কুনমিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেছেন, চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (সড়ক, নৌ ও আকাশ কানেকটিভিটি) নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সারা দেশের প্ল্যান্টগুলো এখন প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। মাতারবাড়ীর প্রস্তাবিত জ্বালানি কেন্দ্র দেবে ১৩ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পটি শুধুই কষ্টকল্পনা নয়, (প্রকল্প পরিচালক জানান, চীনের সঙ্গে একটি অংশের চুক্তি হয়ে গেছে) এটি প্রাথমিক স্তর পার করছে। তবে সরেজমিনে ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে জাইকা সক্রিয়। মন্ত্রিপরিষদের তদারকে জমি অধিগ্রহণ যে কত দ্রুত হতে পারে, তার এক দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী প্রকল্পে। ওই জ্বালানি কেন্দ্রের জন্য পাঁচ হাজার একরের বেশি জমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর শেষ। আরও অর্ধশতাধিক প্রকল্পে ১৩ হাজার একর জমির অধিগ্রহণ দরকার। গত ছয় মাসে আট হাজারের বেশি একর জমি (রেল, বিমানবন্দর, মাতারবাড়ী) সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি। এর বাইরে মহেশখালীতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আরও আট হাজার একর জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ৭ জন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ১৪ জন কানুনগো এবং ৪২ জন সার্ভেয়ার, যাঁদের কাজের চাপ কম ছিল, সারা দেশ থেকে অস্থায়ীভাবে জড়ো করা হয়েছে কক্সবাজারে। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি। আমরা ঢাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস–সংকটে ভুগি, চট্টগ্রামের সংকট কেটে গেছে। কাতার থেকে আমদানি করা এলএনজি গ্যাস প্রতিদিন এখন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঢুকছে নবনির্মিত ৩১ ইঞ্চি পাইপলাইনে, ৪২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার গ্যাস–সংকটও অনেকটা ঘুচবে। কক্সবাজারের নয়নাভিরাম খুরুশকুল বিচে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পাঁচ তারকা হোটেলের সুবিধা–সংবলিত ১০ তলা টাওয়ার এবং ৫ তলাবিশিষ্ট ১৩৭টি ভবন হবে। বিমানবন্দর তৈরির ফলে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় চার হাজার পরিবার ঠাঁই পাবে এসব ভবনে। অনন্য এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ২০টি পাঁচতলা ভবনের নির্মাণ দৃশ্যমান। এই উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি কক্সবাজারে প্রায় ৩৬ হাজার প্রতিবন্ধীর জন্য সুইস রেডক্রসের অর্থানুকূল্যে একটি বহু সুবিধাবিশিষ্ট ভবন ‘অরুণোদয়’–এর কাজ শেষের পথে। সরেজমিনে গিয়ে শুনলাম, সরকারি জায়গাটি বেহাত ছিল। এখন এ ভবনেই শুরু হবে কক্সবাজারের প্রথম ব্লাডব্যাংক। বিনা মূল্যে প্রবীণ ও পথশিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে। রুটিন কাজের বাইরে একজন ডেপুটি কমিশনারের বিশেষ উদ্যোগের এটি একটি ভালো উদাহরণ। ৪ মার্চ একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দিই, সেখানে অভিভাবকেরা এসেছিলেন; তাঁরা এই কাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সাধুবাদ দেন। ছয় হাজার একর জমিতে থাকা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি শিশু–কিশোর। অবিলম্বে স্বেচ্ছা–প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি তাদের জনসম্পদে পরিণত করা একটি চ্যালেঞ্জ। কুতুপালংয়ে ইউনিসেফ পরিচালিত একটি স্কুলে যাই। তাদের দুটি বই। একটি বর্মি, অন্যটি ইংরেজিতে। বাংলা নেই। বয়সের কোনো বিষয় নেই। কোনো পরীক্ষা নেই। বছরের পর বছর তারা একই বই পড়বে। শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে তাদের কাজে লাগানোর পক্ষে। ৩০টি ক্যাম্পের পরিবেশ কোথাও ভালো, কোথাও ভালো নয়। তবে রোহিঙ্গাদের প্রতি গোড়াতে স্থানীয় লোকজনের মনে যত সহানুভূতি ছিল, এখন আর তত নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। আবার রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তঃকলহ বাড়ছে। তাই ২৪ ঘণ্টার টহলদারিতে সেনাবাহিনীও যুক্ত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আরসার নামে অনধিক ২০ জন সক্রিয়, এমন দাবি করেন একজন রোহিঙ্গা নেতা। কর্মকর্তারা অবশ্য বলেন, তাঁরাও এমন শোনেন, কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। তবে বিশ্বকে যেটা জানাতে হবে, সেটা হলো সংরক্ষিত বন ও পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা বসতির নিরাপত্তা প্রতিবছরই বর্ষায় বাড়তি ঝুঁকিতে থাকবে। বড় ঝড়, ভূমিধসে প্রাণহানি বেশি হতে পারে। কুতুপালং বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বাস্তু শিবির। প্রশাসন তাদের ‘উদ্বাস্তু’ বলে না। রোহিঙ্গাও বলে না। বলে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মহা ঝুঁকিতে। কিন্তু বৈশ্বিক সহায়তা বাড়ছে না। গত বছর চাওয়া ৯০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের ৬৭ ভাগ অর্জিত হয়েছিল, এবারেও তার চেয়ে কম প্রত্যাশিত নয়। কক্সবাজারের জনজীবনে অবশ্য সহিংসতা কম। কারণ, সেখানে গোষ্ঠীগত হাঙ্গামা নেই। এমনকি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনও মিলেমিশে আছেন। তবে মাদকই বৃহত্তম নিরাপত্তাঝুঁকি। কর্মকর্তাদের মতে, সব মিলিয়ে দুই হাজার মানুষ মাদকে জড়িত। আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান। মাদক পাচারে কিছু রোহিঙ্গার অংশ নেওয়ার যোগসূত্র আছে। আশার দিক হলো, স্থানীয় লোকজন মাদকাসক্ত হয়নি। মাদক পাচারের দায়ে একজন রোহিঙ্গার সম্প্রতি ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। বিজিবি–পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির তিন ভাই ও ভাগনেও আছেন। ডেপুটি কমিশনার মো. কামাল হোসেন অকপটে বললেন, এর সঙ্গে একবার জড়ালে মুক্ত হওয়া কঠিন। সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি নিয়ে কম জায়গায় বেশি জিডিপি করার দৃষ্টান্ত সিঙ্গাপুর। দেশটি কক্সবাজারের চেয়ে আয়তনে তিন ভাগের এক ভাগের কম। নিশ্চয় ভৌগোলিক ও অন্যান্য সুবিধায় অগ্রণী সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কক্সবাজারের কোনো তুলনা চলে না।আবার এটাও ঠিক, চীনের কুনমিং, উত্তর–পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের চীন ও রাখাইনের অন্তত ৩০ কোটি মানুষের নিকটতম গভীর সমুদ্রবন্দর হতে পারত সোনাদিয়া।সাংসদ রফিক বলেন, জাপান মাতারবাড়ীতে একটি কয়লাবন্দর করছে, যা পরে বাণিজ্যিক বন্দরে রূপান্তর করা হতে পারে। এখানে চ্যানেল খননের কাজ প্রায় ২০ শতাংশ শেষ। কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুরের আদলে কিছু করার মূল বাধা ছিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন। এখন তার সঙ্গে নতুন যে মাত্রা নিয়ে যুক্ত হয়েছে, সেটা রোহিঙ্গা পুনর্বাসন। মিজানুর রহমান খান: প্রথমআলোর যুগ্ম সম্পাদক