document_id
stringlengths
36
36
text
stringlengths
253
70.2k
f917c6c4-dfc6-4e2d-85ea-cf937cca072e
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়নের হাতিয়ার হিসেবে যৌন নির্যাতনকে ব্যবহার করেছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জাতিসংঘ মহাসচিবের বরাত দিয়ে লিখেছে অক্টোবর ২০১৬ থেকে আগস্ট ২০১৭ পর্যন্ত যে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, মিয়ানমারের সেনারা তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। মুসলমান নারীদের ওপর ওই ভয়াবহ যৌন নির্যাতনকে মিয়ানমারের সেনাদের একটি অপকৌশল বলে মন্তব্য করেছেন গুতেরেস। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা যাতে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় এবং আর ফিরে আসার চিন্তা না করে সেজন্যই এই কৌশল গ্রহণ করেছে মিয়ানমার সেনারা। শরণার্থীদের প্রথম পরিবার মিয়ানমারে ফিরে যাবার পর গতকাল গুতেরেসের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা ও উগ্র বৌদ্ধদের বর্বর হামলায় ৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত এবং ৮ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। পাশবিক ওই নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেদেশের সেনা ও উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে
d41de16e-9432-4d83-a52e-76b9426390dc
মামুন হোসেন, সাতক্ষীরা থেকেঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম (৫০) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি..রাজেউন)। বুধবার বেলা ১০.৪০ মিনিটে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুকে অনুভব করে তিনি রিকক্সা থেকে পড়ে যান। এরপর ফরিদপুর হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ফরিদপুর কতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওসি রিয়াজুল ইসলাম রিকক্সা থেকে পড়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, গত সোমবার তিনি ছুটি নিয়ে শশুর বাড়ি ফরিদপুর গিয়েছিলেন। আজ বুধবার কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করার কথা ছিলো। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলায়। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
b9a20c19-f36b-415c-88da-e1cbb76f91a7
শরিফুল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়া থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর মঙ্গলবার বিকালে খুলনা নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে খুলনা সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রাম থেকে নিহতের প্রেমিকাকে আটক করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আটকের পর পুলিশ মরিয়ম খাতুন নামের ওই যুবতীকে খুলনা সদর থানায় প্রেরণ করেছে। অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম ইনসান মোল্যা (২৭)। সে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রামের ইঞ্জিল মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় আটক প্রেমিকাকে আসামী করে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই চাঁচুড়ী ইউপি সদস্য তৌরুত মোল্যা জানান, ‘গত বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকাল আটটার দিকে তার ভাই চাঁচুড়ী বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে শুক্রবার (২২ জুন) রাত আনুমানিক ১০ টায় কালিয়া থানায় এ ব্যাপারে তার বোন আরিফা বেগম একটি জিডি দায়ের করেন। যার নং-৭৯৯। এরপর সোমবার (২৫ জুন) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে একটি অপরিচিত মুঠোফোন নম্বর ০১৬৩৩৭৯৪১৭৬ থেকে তৌরুতের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর ০১৭৩২৭৭৭২৮৮- এ কল করে ইনসানের মুক্তির জন্য ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দাবিকারীদের কথামত তিনি খুলনায় গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাকালে বিকালে খুলনায় কর্মরত তৌরুতের গ্রামের এক পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে হোটেল আজমল প্লাজায় (পিকচার প্যালেস মোড়) একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে, এমন খবর শুনে তিনি সেখানে গিয়ে ইনসানের লাশ সনাক্ত করেন। জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে দিকে খুলনা নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, গত শনিবার (২৩ জুন) এক যুবক ও এক তরুণী নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়স্থ হোটেল আজমল প্লাজার পঞ্চম তলার ৫০২ নম্বর কক্ষে ওঠেন। মঙ্গলবার বিকালে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। যুবকের দুই হাত-পা বাঁধা এবং মুখ ও পুরুষাঙ্গ আগুনে ঝলসানো অবস্থায় ছিল। তবে হোটেল রেজিস্ট্রারে তাদের কোনো নাম-ঠিকানা, তথ্য লিপিবদ্ধ নেই। যে কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের মালিকের ছেলে ও ম্যানেজারসহ চারজনকে আটক করা হয়। খোঁজ নিয়ে যায়, উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের আঃ কালাম বিশ্বাসের মেয়ে মরিয়ম খাতুন গত বছর ১১ ডিসেম্বর নিহত ইনসান মোল্যাকে স্বামী দাবি করে কালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯(১) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইনসানের সঙ্গে মরিয়ম খাতুনের দীর্ঘদিনের প্রেমজ সম্পর্ক বিদ্যমান। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নোটারী পাবলিকের অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে উভয়ই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর একই বছর ২ অক্টোবর ভারতে গিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। কিন্তু গ্রামে ফিরে এসে ইনসান তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে গত বছর ২২ নভেম্বর পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর ১১ ডিসেম্বর নিহত ইনসান মোল্যাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে সে কারাভোগের পর বর্তমানে জামিনে ছিল। ইনসান মোল্যা জামিনে আসার পর এই মামলা থেকে রক্ষা পেতে একটি দুষ্টু চক্রের মাধ্যমে মরিয়ম খাতুনকে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি অপকৌশল চলছিল বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শমসের আলী জানান,‘ কালিয়া থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার ঘটনায় নিহতের ভাই তৌরুত মোল্যা বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মরিয়মের নাম উল্লেখসহ অঞ্জাত নামা ৫/৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় মরিয়ম খাতুনকে আটকের পর খুলনা সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
51879de5-18c6-4ec0-99e6-701a53cdb4c8
অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষানবিস সেবিকা কারা ওয়াট একটি বৃদ্ধ নিবাসে কাজ করতেন। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ অসুস্থ হতে শুরু করলেন। তার মুখ ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে উঠছিল। লিভারের অসুখের অন্যতম লক্ষণ এটি। পরীক্ষায় দেখা গেলো তার যকৃত ঠিকমতো কাজ করছে না। দিন দিন তার অবস্থা এতটা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো যে একপর্যায়ে তাকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে হল। চিকিৎসকেরা তাকে জানালো তার যকৃত প্রতিস্থাপন করতে হবে। কারা বলছিলেন, তার জন্য বিষয়টি ছিল এক ভয়াবহ খবর। এমন খবর কেউ শুনতে চায়না। কারা’র বয়স এখন একুশ বছর। দুই বছর আগে তার যকৃত প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। খবর বিবিসির। মানবদেহের যকৃতের রয়েছে নিজেকে সারিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা। দরকারে সে নিজেকে মেরামত করে নেয়। কিন্তু আঘাত বা কোন ধরনের ঔষধ বা মাদকের অপরিমিত মাত্রায় সেবনের কারণে অনেক সময় যকৃত হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানব দেহের লিভার বা যকৃৎ হঠাৎ কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিস্থাপনের বদলে বরং ঔষধ দিয়ে যকৃত সারিয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে।বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রতিস্থাপনের বদলে ঔষধ দিয়ে যকৃত সারিয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে। তারা বলছেন, ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এমন একটি ঔষধ ইঁদুরের শরীরে ব্যবহার করে তারা সফল হয়েছেন। এটি দিয়ে যকৃতের নিজেকে সারিয়ে তোলার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গবেষণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি পুরো সফল হলে যকৃত প্রতিস্থাপন না করে বরং ঔষধ দিয়ে বিকল যকৃত সারিয়ে তোলা যাবে। যার ফলে বিশাল খরচ, প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ দানকারী অনুসন্ধান, লম্বা সময় ধরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তালিকায় ঝুলে থাকা এসব নানা জটিলতা থেকে একজন অসুস্থ ব্যক্তি মুক্তি পাবেন। গবেষকরা প্রথমে মানুষের যকৃতের উপর কাজ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন কেন হঠাৎ সেটি নিজেকে মেরামত করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তারা দেখলেন ভয়াবহ আঘাতে যকৃতে এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় যাকে বলা যেতে পারে বার্ধক্যকে অগ্রসর করা। মানবদেহের যখন বয়স হয়ে যায় তখন তার শরীরের কোষগুলো দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পরে, সে আর নূতন কোষ সৃষ্টি করতে পারে না। যার ফলে মানবদেহ নানা অঙ্গকে আর পুনরুজ্জীবিত বা তাজা করতে পারে না। যে কারণে বুড়ো হয়ে যায় মানুষ। আঘাতে ফলে যকৃতেরএই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত বাড়ে এবং যকৃতের নিজেকে সারিয়ে তোলার ক্ষমতা আর কাজ করে না। যকৃত যেন হঠাৎ ভয়াবহ রকমের বুড়ো হয়ে যায়। এর জন্য এক ধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়া শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এর পর ইঁদুরের উপরে গবেষণা শুরু করেন। ল্যাবে ইঁদুরের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক দেয়া হয় যা সাধারণত যকৃতকে অকার্যকর করে দেয়। এরপর তারা এক ধরনের ক্যান্সারের ঔষধ ব্যবহার করে ইঁদুরের শরীরে ঐ রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকরা শীঘ্রই এই ঔষধ মানবদেহে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন। সেবিকা কারা ওয়াট এখন দিনে ১৩ টি করে ঔষধ সেবন করেন। নতুন যকৃতকে তার শরীর যাতে গ্রহণ করে সেজন্যেই এই ঔষধগুলো তাকে খেতে হয়। তবে তিনি আশা করছেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সফল হলে তার মতো আরও বহু রোগীকে আর যকৃত প্রতিস্থাপনের পথে যেতে হবে না। তার শরীরই ঔষধ দিয়ে অসুস্থ যকৃতকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলবে।
9c7c1423-8691-42b1-a3df-fd254fad4542
অনলাইন ডেস্ক : চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে ৬৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী রয়েছেন। সর্বশেষ বুধবার মক্কায় শামসুল ইসলাম নামে এক হাজি মারা গেছেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়। পাসপোর্ট নম্বর বিকিউ (০৯৭৭০৭৭)। আর অন্যদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় ৬ জন, জেদ্দায় ২ জন, মিনায় ৮ জন ও আরাফাতে ৬ জন মারা যান। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে হজ করতে যান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজ করতে গেছেন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২৭ আগস্ট থেকে। এবং শেষ ফ্লাইটটি দেশে ফিরবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর।
bb519f9a-38b6-4284-a2e5-504b0455267c
মদ মানেই ক্ষতি। মদের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। মদ পান করলে ক্ষতি হবেই। গবেষকরা এই প্রথমবারের মতো একসুরে এসব কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ নামের বৈশ্বিক উদ্যোগের গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিকস এই বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে কাজ করেছে। গবেষণায় অর্থায়ন করেছে আমেরিকার বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন মদ পান করে। অপরিণত বয়সে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার জন্য সপ্তম ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস মদ্যপান। প্রতিবছর ২৮ লাখ মানুষ মারা যায় মদের কারণে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) মদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ব্রিটেন ভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট’র প্রবন্ধেও এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৯৫টি দেশে মদের ব্যবহার, অসুস্থতা ও মৃত্যুর তথ্য এতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে গবেষকেরা বলেছেন, মদের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। প্রবন্ধে বলা হয়, ডেনমার্কের মানুষ সবচেয়ে বেশি মদ পান করে। সবচেয়ে কম মদ পান করা দেশগুলোর তালিকায় আছে মুসলিম দেশগুলো। ইসলামে মদ পান হারাম। এই বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) অসংক্রামক ব্যাধি বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলিয়া নাহিদও রয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, “মদ সরাসরি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়, এটা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের গবেষকেরা এক সুরে বলছেন, মদের কোনো গ্রহণযোগ্য মাত্রা নেই।” গবেষকেরা বলছেন, ১৫-৪৯ বছর বয়সী মানুষের ১০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি ঘটে মদের কারণে। নিয়মিত মদ্যপান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মদে অভ্যস্ত মানুষ সহিংস হয় এবং অনেক সময় নিজের ক্ষতি করে। বিশ্বব্যাপী মানুষ কী পরিমাণ মদ পান করে, সেই হিসাব বের করতে গবেষকেরা ৬৯৪টি পূর্বের গবেষণা পর্যালোচনা করেন। এ ছাড়া মদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ণয়ের জন্য আরও ৫৯২টি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব পর্যালোচনা শেষে গবেষকেরা বলছেন, ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্যানসারে মৃত্যুর পেছনে প্রধান কারণ মদ্যপান। ২০১৬ সালের বৈশ্বিক তথ্যে দেখা গেছে, ২.২ শতাংশ নারী ও ৬.৮ শতাংশ পুরুষের অপরিণত বয়সে মৃত্যুর কারণ মূলত মদ্যপান। ১৫-৪৯ বছর বয়সীদের প্রধান মৃত্যুঝুঁকি ছিল মদসংশ্লিষ্ট কারণ। এছাড়া ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ২৭ শতাংশ নারী এবং ১৯ শতাংশ পুরুষ মারা যায় মদ্যপানসংশ্লিষ্ট ক্যানসারের কারণে।
e884c54f-21d8-44b8-9b3b-8d21efc9f381
অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন বিপদ ডেকে আনে। তা বিবাহিত জীবনেই হোক কিংবা বিয়ের আগেই হোক। আবার গর্ভনিরোধক পিল দীর্ঘদিন খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলও ঘনঘন খেতে থাকলে একটা সময় পর ওই পিল আর কাজ করে না। গর্ভনিরোধক পিলের বহু সাইড এফেক্ট রয়েছে। মাথার যন্ত্রণা, গা-বমি থেকে শুরু করে ঠিক সময়ে পিরিয়ড্স না হওয়া, মুড সুইং তো আছেই। এছাড়াও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই পিল খেলে গর্ভাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ইনস্ট্যান্ট পিলগুলি বেশি খেলে একটা সময় পর তা আর কাজ করে না। কিন্তু চিকিত্সাশাস্ত্র অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। নিয়মিত পিল খাওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে গর্ভধারণ এড়ানো সম্ভব। জেনে নিন পিল ছাড়া কীভাবে আটকাবেন গর্ভধারণ। পিরিয়ডে কনডম- মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অনেকেই কনডম ব্যবহার না করেই সেক্স করেন। কারণ প্রচলিত ধারণা হল, মাসের ওই সময়টিতে গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই। আসলে কিন্তু সম্ভাবনা একটা থেকেই যায়। তা ছাড়া পিরিয়ডের সময়ে কনডম ছাড়া সেক্স করলে নানা ধরনের ইনফেকশনও হতে পারে পুরুষাঙ্গে। উইথড্রয়ালের ঝুঁকি- ইজ্যাকুলেশনের আগে পুরুষাঙ্গ যোনির ভিতর থেকে বের করে নেওয়াকেই মনে করা হয় গর্ভধারণ এড়িয়ে চলার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। কিন্তু এতেও সম্ভাবনা থেকেই যায় কারণ ইজ্যাকুলেশনের আগে পুরুষাঙ্গ থেকে যে তরল নিঃসৃত হয়, তার মধ্যে অনেক সময় স্পার্ম থেকে যায়। তা ছাড়া সম্পূর্ণ বের করার আগেই ইজ্যাকুলেশন শুরু হয়ে যেতে পারে। ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। হাত নয়- সঙ্গমের আগে সেই তরল নিঃসরণের পর যদি পুরুষাঙ্গে হাত দিয়ে থাকেন, তবে একটি টিস্যু পেপারে হাত মুছে তবেই কনডম পরা উচিত। ওই নিঃসরণে স্পার্ম থাকতে পারে এবং কনডমর বাইরের অংশে ওই নিঃসৃত রস যদি কোনভাবে লেগে যায় তবে সেক্সের সময় কনডম পরে থাকলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন- কন্ডোম না-পরা অবস্থায় পুরুষাঙ্গকে যোনির সংস্পর্শে আনা উচিত নয়। প্রি-ইজাকুলেশন নিঃসরণে স্পার্ম থাকার সম্ভাবনা থাকে। স্পার্ম হল এমনই এক ধরনের জীবকোষ যা নিঃসরণের পর ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে এবং যোনিরসের সংস্পর্শে এলে সেই রসের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যেতে পারে ডিম্বাশয়ে। গর্ভনিরোধক জেল- মেয়েদের জন্য বেশ কিছু গর্ভনিরোধক জেল বা ফোম রয়েছে। কন্ডোমের পাশাপাশি এগুলি ব্যবহার করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ এড়ানো সম্ভব। নজ্ল বা প্লাস্টিক অ্যাপ্লিকেটরে পাওয়া যায় এই ‘স্পার্মিসাইড’ গুলি। ছোট ট্যাবলেটের মতো দেখতে এই অ্যাপ্লিকেটর ইন্টারকোর্সের অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট আগে যোনির অনেকটা ভিতরে পুশ করতে হয়। শরীরী উত্তেজনার ফলে অ্যাপ্লিকেটরটি গলে গিয়ে জেলটি বেরিয়ে আসে ও একটি আবরণ তৈরি করে। স্পার্ম এই তরলের সংস্পর্শে এলে নষ্ট হয়ে যায়। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ধরনের অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করা উচিত। এর কোনও সাইড এফেক্ট নেই এবং এতে যৌন উত্তেজনা বা তৃপ্তিতে কোনও প্রভাব পড়ে না। গর্ভনিরোধক রিং- চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে যদি যোনির ভিতরে গর্ভনিরোধক রিং স্থাপন করা যায় তবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা থাকে না। প্রতিটি পিরিয়ডের পর একটি করে নতুন রিং স্থাপন করতে হয়। ইন্টারকোর্সের সময় একটি বিশেষ হরমোন নিঃসৃত হয় এই রিংগুলি থেকে যা স্পার্মকে অক্ষম করে দেয়। এই রিং অনেকটা অ্যাপ্লিকেটরের মতোই। মেয়েরাই যোনির ভিতরে পুশ করতে পারেন। গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন- গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন গর্ভনিরোধক পিলের চাইতেও গর্ভনিরোধক হিসেবে ৯৯ শতাংশ কার্যকর। একটি ইঞ্জেকশন নিলে ৩ মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ আটকানো যায় তবে এই ৩ মাসে পিরিয়ড হবে না। এই ইঞ্জেকশন নিতে হয় নিতম্বে বা বাহুতে। গর্ভনিরোধক প্যাচ- এটি পরতে হয় বাহুতে। ত্বকের রঙের এই প্যাচটি বিশেষ হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা ত্বকের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। একটি প্যাচ এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ দেয়। একটি মাসের মধ্যে পিরিয়ড্সের সপ্তাহটি বাদ দিয়ে বাকি ৩ সপ্তাহ পরতে হয় এই প্যাচ। তবে চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া এই প্যাচ কখনোই পরা উচিত নয় কারণ এতে শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। একই রকম ভাবে কাজ করে গর্ভনিরোধক ইমপ্লান্ট। এটি বাহুতে সার্জারির মাধ্যমে লাগাতে হয়। একবার সার্জারির পর ৩ বছর গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। আইইউডি- এটি হল এক ধরনের ডিভাইস যা ইউটেরাসে স্থাপন করতে হয়। যা কপার-টি নামেও পরিচিত। এর মধ্যেও একটি বিশেষ ধরনের হরমোন থাকে যা স্পার্ম নষ্ট করে দেয় ও গর্ভধারণ আটকায়। কপার-টি থাকলে পিরিয়ড্সের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই (গর্ভনিরোধক জেল, প্যাচ, ইঞ্জেকশন এবং আইইউডি) চিকিত্সকের পরামর্শ আবশ্যক।
af460b48-1328-4343-a5a7-8f3a85000259
মাসুদ মজুমদার: রাজনীতিতে নতুন করে মেরুকরণ শুরু হয়েছে। এর পরিণতি এখনো অজানা। তবে জাতীয় রাজনীতিতে যে একটা গুণগত না হোক, সাধারণ পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, সেটা স্পষ্ট। কারণ, দেশের বুদ্ধিজীবীসমাজ নিজেদের সম্পৃক্ত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যেও এক ধরনের বল ও ভরসা বেড়েছে। সরকারের হাতের শেষ অস্ত্রগুলোও ব্যবহৃত হয়ে গেছে। হামলা-মামলা, জেল-জুলুম, নানা নামে নানাভাবে গুপ্ত হত্যা ও ক্রসফায়ারসহ সব রকমের নিপীড়নমূলক কাজ ইতোমধ্যে সাঙ্গ করে ফেলা হয়েছে। এখন সরকারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং বিচার বিভাগকেও ব্যবহারের শেষ চেষ্টা করতে হচ্ছে। এখন দেশে একক কোনো বিরোধী দল নেই। আবার সরকারও এতটা দৃঢ় অবস্থানে নেই যে, সম্মিলিত বা যুগপৎ কোনো আন্দোলন ঠেকানোর মতো সামর্থ্য রাখে। তাই সরকারকে একটা পর্যায় এসে ছাড় দিতে হবে। তারুণ্যকে সরকার বিগড়ে দিয়েছে। তারা এখনো খামোশ মানেনি। ভেতরে ভেতরে ফুঁসে আছে। তাই আশা করার যথেষ্ট কারণ আছে- শেষ পর্যন্ত একটি ফরমুলার মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে, যা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হবে। অবশ্য তার আগে নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে, সুশীল সমাজ এবং জনমত একমত যে, এই ইসির মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব নয়। কারণ তারা নিজেরাই নিজেদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। তার চেয়ে বড় কথাÑ এ কমিশনের সবাই না হোক, মোটামুটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেদের দলীয় পরিচয় গোপন রাখতে পারেননি। সেই পরিচয় অনুসারে তাদের আনুগত্য যে ঘুরে দাঁড়াবে, তাতে সন্দেহ করার কারণ নেই। এ পর্যন্ত যে ক’টি নির্বাচন হয়েছে সব ক’টিতে বর্তমান ইসির ব্যর্থতার নজির স্পষ্ট। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে ইসির পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাধারণ চোখে জনমত যাচাই করা সহজ নয়। তা ছাড়া, এখন মিডিয়া পক্ষপাতদুষ্ট। প্রশাসনে দলবাজেরা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন মেরুদণ্ডহীন। তাই সরকার চাইলে একটি জবরদস্তির নির্বাচন করার চেষ্টা করে দেখতে পারে। তবে জনমত আশা করে, সরকার ২০১৪ সালের মতো আর নতুন করে এসিড টেস্ট করতে যাবে না। কারণ, সামাজিক শক্তির সাথে বিশ্বসম্প্রদায়ও এবার সজাগ এবং সতর্ক। তারা কোনোভাবেই চাইবেন না, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হোক। সরকার বিশ্বসম্প্রদায়কে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে দেখেছে আর এবার সেটা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার টানার ক্ষেত্রে সক্ষম না হোক, কিন্তু রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করার মতো এমন কয়েকজন ব্যক্তিত্ব আছেন যারা পরিবর্তনকামী হয়ে উঠেছেন। সেভাবেই তারা মঞ্চে নেপথ্যে কথাও বলছেন। সেসব কর্তা জনমতকে আলোড়িত করছেন। তার ওপর, নেগেটিভ ভোটার এবার অর্ধেক। তারা কাকে ভোট দেবেন- সেটা বোঝা কঠিন; কিন্তু সরকারকে সমর্থন না করার ব্যাপারে তাদের দৃঢ়তা শতভাগ দৃষ্টিগ্রাহ্য হয়ে উঠেছে। তাই তফসিল ঘোষণা, আরপিও সংশোধন এবং সরকারি মুখপাত্রদের কিছুটা সমঝোতামূলক বক্তব্য-বিবৃতি জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারছে না যে, এর মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রেক্ষপট সৃষ্টি হবে। অনেকেই ‘রাজনৈতিক তৃতীয় শক্তি’র উত্থান কামনা করছেন এবং আশাবাদও সৃষ্টি হয়ে আছে যে, ছোট দলের কয়েকজন বড় নেতার মাধ্যমে এমন নাটকীয় কিছু ঘটনা ঘটে যেতে পারে, যাতে সরকার কাবু হয়ে পড়বে। সরকার শুধু গণতন্ত্রকে অবারিত করে দেখতে পারে- তাদের উন্নয়নের ডুগডুগি জনগণ কতটা সমর্থন করে; আর কতটা পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবার জন্য রাজপথে নেমে পড়ে। সরকারের উচিত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই, একটা পরীক্ষামূলক চ্যালেঞ্জ নেয়া। একটি কথা স্মরণযোগ্য যে, এখন সরকার ইচ্ছে করলেই নির্বাচন এড়াতে পারবে না। আবার জবরদস্তিমূলক নির্বাচন করে এক তরফা কিছু করার অবস্থাও আর নেই। তাই সরকারের জন্য একটা মই দরকার। যা দিয়ে তারা সরকার থেকে নেমে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারে। সবার উচিতÑ সরকারের নিরাপদ অবতরণের ফরমুলা নিয়ে ভাবা, আর সেটাই বোধ করি এখন বড় সমস্যা হয়ে আছে।
344c785a-b239-4608-9297-82c97c53d64d
কামরুল হাসান দর্পণ: যেখানে জয়-পরাজয়ের বিষয় জড়িত, সেখানে আশা এবং শঙ্কা থাকা স্বাভাবিক। বিশেষ করে যে ব্যক্তি বা দল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং পুনরায় তা ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগিতায় নামে. তার আশা ও শঙ্কা বেশি কাজ করে। তার পারফরমেন্স যদি খারাপ হয় বা বুঝতে পারে চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখতে শক্তিতে ঘাটতি রয়েছে, তখন শঙ্কায় পেয়ে বসে। জয়-পরাজয়ের বিষয়টি যদি কোনো দলের জন্য ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়, তবে তার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে যে দল ক্ষমতায় থাকে ক্ষমতা হারানোর এক ধরনের ভয় তাকে পেয়ে বসে। ক্ষমতার শেষ দিকে এসে এ ভয় আরও জেঁকে বসে। ফলে তার প্রতিপক্ষের প্রতি দলের নেতাদের গলার আওয়াজ, হুমকি-ধমকি, হুংকার বৃদ্ধি পায়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য থেকে এখন এ ধরনের আওয়াজ বেশ জোরেসোরে বের হচ্ছে। বলা যায়, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, তাদের নার্ভাসনেসও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান প্রতিপক্ষকে তারা তুলোধুনো করছেন। এমনকি গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যে বিশাল জনসভা করা হয়, ঐ দিন সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যে দল গত ১০ বছরে বিএনপি অনেক আন্দোলনের হুমকি দিয়ে একদিনও চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত। প্রতীয়মাণ হয় যে, তার এ বক্তব্য অনেকটা অসহিষ্ণু এবং বিচলিত হওয়া থেকে দেয়া। অন্যভাবে দেখলে, যদি প্রতিপক্ষের নেতারা পদত্যাগ করেন, তাহলে তো ঐ দলের কোনো অস্তিত্বই থাকে না। আবার এটাও হতে পারে, প্রতিপক্ষকে উত্তেজিত করার জন্য তিনি এ কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, রাজনৈতিক বক্তব্য বাগাড়ম্বরপূর্ণ হলেও তাতে কিছুটা সারবত্তা থাকা উচিত। তিনি প্রতিপক্ষকে প্রায় প্রতিদিনই হুমকি দিয়ে বলেন, আন্দোলন করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তাদের মধ্যে ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছে। তারা বুঝতে পারছে, তাদের পারফরমেন্সে ঘাটতি রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় না-ও পেতে পারেন। তাই প্রতিপক্ষকে প্রতিযোগিতা থেকে দূরে ঠেলে দেয়া বা বিতাড়িত করার জন্য ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এর উপর দেশি-বিদেশি সব মহল থেকেই জোর তাকিদ দেয়া হচ্ছে, আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। এ বিষয়টিও ক্ষমতাসীন দলের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। দুই. কাজেই রাজনীতি করার অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে, ক্ষমতায় যাওয়া। এই ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টিতে যদি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন, রায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থাকে, তাহলেই দেশ কল্যাণের পথে এগিয়ে যায়। এর ব্যতিক্রম হলেই রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিগত দশ বছরের শাসনামল বিচার করলে দেখা যাবে, প্রথম পাঁচ বছর সে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে। দ্বিতীয় পাঁচ বছরের শাসনামলটি খুবই ত্রæটিপূর্ণ। এতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় ছিল না। দলটি জনগণের মতামতকে পাত্তা না দিয়ে নিজের মত করে পরিচালনা করছে। ফলে দেশে এক ধরনের দলীয় নেতা-কর্মী এবং দলীয়করণকৃত শাসন কায়েম হয়েছে এবং তা বলবৎ রয়েছে। যদিও সরকার কথায় কথায় জনগণের দোহাই দিচ্ছে এবং বলছে জনগণ তার সঙ্গে আছে। আর জনগণকে তার উন্নয়নের জোয়ারের কথা জোর গলায় বলছে। অথচ প্রকৃত চিত্র হচ্ছে, দেশে এক ধরনের গায়ের জোরের শাসন চালু করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় যদি খোঁজ নেয়া হয়, তবে দেখা যাবে সেখানে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে যে, কারো পক্ষে ‘কি’ শব্দটি উচ্চারণ করার সাহস নেই। মনে হবে, সবকিছুই বেশ শান্ত এবং শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। নেতা-কর্মী এবং দলীয়করণকৃত প্রশাসনের বিপক্ষে সাধারণ মানুষের কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। ক্ষমতাসীন দলও হয়তো এটাই চেয়েছে যে, জনগণের কথা বলার দরকার নেই। আমরা যা বলব, যেভাবে চালাব তাদের তা শুনতে ও চলতে হবে। জনগণের ভেতরে ক্ষোভের পাহাড় জমা হচ্ছে। নিপীড়িত মানুষ নীরবেই গুমরে মরছে। ক্ষমতার কাছে তারা অসহায় হয়ে রয়েছে। তবে তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ক্ষমতাসীন দল যে তা বোঝে না কিংবা বুঝেও জোর করেই দমিয়ে রাখতে চায়, তা ভুক্তভোগী মানুষের অজানা নেই। এজন্য ক্ষমতাসীন দলের কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমতায় থাকতে না পারলে দলের অনেক নেতা-কর্মী বিপদে পড়বে। এ নিয়েও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে এক ধরনের নার্ভাসনেস কাজ করছে। তারা জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। ক্ষমতায় থাকতে না পারলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই যে করেই হোক, যেভাবেই হোক, ক্ষমতায় থাকতে হবেÑএমন মনোভাব দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কাজ করছে। অন্যদিকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় পুনরায় আসতে পারলে বিরোধী দলের বিশেষ করে প্রধান প্রতিপক্ষের অস্তিত্ব থাকবে কিনা, এ প্রশ্নও উঠছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের বিগত দশ বছরের শাসনামলে তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির কী দশা করা হয়েছে, তা সাধারণ মানুষ মাত্রেই জানে। পুনরায় ক্ষমতাসীন হলে কী দশা হবে, তা ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ নেই। দেশ এক মহাসংকটের দিকে এগিয়ে যাবে। সাধারণত গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ধারণ করা ক্ষমতাসীন কোনো রাজনৈতিক দলের এমন মনোভাব থাকে না। যখনই এমন মনোভাব দেখা দেয়, তখন তাদের মধ্যে জনগণের রায় উপেক্ষা করে স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় থাকার চিন্তা থাকে না। তার মধ্যে এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব দেখা দেয়। ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের মনোভাব নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে কথাও উঠেছে। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ছিল বড় স্বৈরাচার। ১০ বছরের বেশি টিকেনি। এখন যে স্বেচ্ছাচারী সরকার আছে তাদের মেয়াদও ১০ বছর। অর্থাৎ তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে স্বৈরাচারি সরকারের সাথে তুলনা করেছেন। ক্ষমতাসীন দলও জানে, বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে এবং দেশ শাসন করে চলেছে এবং এটা নৈতিকভাবে সঠিক নয়। মূলত ক্ষমতার লোভ এবং টিকে থাকার জন্য যারাই তার বিরোধিতা করেছে কিংবা জনগণের হয়ে কথা বলতে চেয়েছে, তাদের সে দমন-পীড়ন করেছে। শুধু প্রতিপক্ষই নয়, পত্র-পত্রিকা থেকে শুরু করে মিডিয়ায়ও যাতে তার বিরোধিতা করতে না পারে-এমন আইন ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। সে যদি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসত, তাহলে তো এসবের কোনো প্রয়োজন পড়ত না এবং ক্ষমতা হারানোর ভয় কিংবা হেরে গেলে অস্তিত্বসংকটের মুখোমুখি হতে হবে এমন আশঙ্কাও থাকত না। এখন ক্ষমতার শেষের দিকে এসে দলটির নেতা-কর্মীদের কথায় যে তেজ দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক তারা আবারও যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতাসীন দল যুগের পর যুগ আন্দোলন করেছে, সে দলটিকে কেন এমন অবস্থান গ্রহণ করতে হবে? স্বৈরাচারের তকমা গায়ে লাগাতে হবে বা তুলনীয় হতে হবে? অথচ তার কাছ থেকেই গণতন্ত্রের বিকাশ সবচেয়ে বেশি কাম্য ছিল। তা না করে গণতন্ত্রকেই সংকুচিত করে ফেলেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এখন এ দলটি যদি আবারও নামমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে দলটি কি নিজেকে আর গণতান্ত্রিক দাবী করতে পারবে? তিন. বলা হচ্ছে, বিএনপি’র জন্মের ৪১ বছরে সবচেয়ে দুঃসময়ে দলটি পড়েছে। শীর্ষ দুই নেতা প্রত্যক্ষভাবে মাঠে নেই। যাদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা সবসময় উজ্জীবীত ও চাঙা থাকবে তাদের অনপুস্থিতি দলের মধ্যে কিছুটা হলেও হতাশা সৃষ্টি করে। তবে দলটির শীর্ষ নেতাদ্বয়ের পরের নেতৃবৃন্দ যে দলের সুসংহত অবস্থা ধরে রাখতে পারছেন, তা গত ১ সেপ্টেম্বরের নয়াপল্টনস্থ বিশাল জনসভায় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি থেকে বোঝা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, দলের সমাবেশে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হলেও এবং তাদের সমর্থন থাকা সত্তে¡ও কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না কেন? এর মূল কারণ হতে পারে, সরকারের কঠোর অবস্থান এবং দলের নেতৃত্বের দৃঢ়তার দুর্বলতা। আমরা দেখেছি, এরশাদ সরকারের সময় অত্যন্ত দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও শুধুমাত্র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে দলটি ব্যাপক আন্দোলনে ভূমিকা রাখে এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়। এখন যে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি তৃণমূল পর্যন্ত এবং ব্যাপক জনসমর্থন থাকার পরও সরকারকে টলানোর মতো বা ভাবনায় ফেলার মতো কোনো আন্দোলন করতে সক্ষম হচ্ছে না। যদিও দলটির নেতারা বলছেন, সময় মতো আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে এবং ক্ষমতাসীন দল তাদের দাবী মানতে বাধ্য হবে। ক্ষমতাসীন নেতাদের মধ্যে বিএনপির আন্দোলনের এ হুমকি নিয়ে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তার উদয় হয়নি। বরং তাদেরকে অনেকটা রিলাক্সড মুডে দেখা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, বিএনপি কী করবে তাই এখন দেখার বিষয়। তবে ক্ষমতাসীন দল যে বহু আগে থেকেই আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিয়েছে তা আঁচ করতে কষ্ট হয় না। ইতোমধ্যে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এর অংশ হিসেবে গত কিছুদিন থেকেই দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন কি কখনো শান্তিময় এবং বিশৃঙ্খলা ছাড়া হয়েছে? আন্দোলন মানেই কোনো না কোনোভাবে জানমালের ক্ষতি হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কি বলতে পারবে, সে যখন সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছিল, তখন তা একেবারে শান্তভাবে হয়েছিল? কোনো ধরনের সহিংস বা জ্বালাও-পোড়াও হয়নি? কথায় কথায়, ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার জোট যে আন্দোলন করেছে এবং তাতে যে সহিংসতা হয়েছে, তার উদাহরণ টেনে আনা। সে সময় যে সহিংসতা হয়েছে, তার দায় কি পুরোপুরি বিএনপি ও তার জোটের উপর দেয়া যায়? এ আন্দোলনে যে অন্য কোনো পক্ষ সুযোগ নেয়নি, তা কি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়? যেহেতু আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি ও তার জোট, তাই দায় তার উপরই পড়েছে। এখন বিএনপি আগামী নির্বাচন তার দাবী অনুযায়ী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আদায়ের জন্য কী কৌশলে আন্দোলন করবে, তা দেখার বিষয়। দলটিকে সতর্ক থাকতে হবে, ৫ জানুয়ারির আন্দোলনের মতো এবারের আন্দোলনে কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে। দলটিকে তার বাইরের অন্যান্য যেসব সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের সাথে যে কোনো উপায়ে সমঝোতার মাধ্যমে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সব দলের নেতৃবৃন্দ যখন একই মঞ্চে উঠবে, তখন এমনিতেই কোনঠাসা হয়ে থাকা জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। সরকারর চাপে পড়বে। মোট কথা, জাতীয় রাজনীতিতে শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা যখন এক হয়ে সরকারবিরোধী অবস্থান নেবেন, তখন সরকারের টনক নড়তে বাধ্য হবে। অবশ্য সরকার যে এ ঐক্য সহজে হতে দেবে তা ভাবার অবকাশ নেই। কারণ ইতোমধ্যে সরকার তার বাইরের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দকে বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। রাজনীতিতে ক্ষমতার লোভ এমন এক জিনিস যে তা সংবরণ করা খুবই কঠিন। এক নেতার এক দল হলে তো কথাই নেই। সেই নেতা দেরি না করে মন্ত্রীত্ব বা ক্ষমতার অংশীদার হয়ে যাবেন। এমন নজির বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও রয়েছে। তবে দেশকে পূর্ণ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সুশাসন কায়েম এবং একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে রক্ষা করতে হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বদের নির্মোহভাবে দেশের কল্যাণে এক হওয়া জরুরী। এ লক্ষ্যে অবিচল থাকলে সরকার যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তার ভেতর দুঃশ্চিন্তা দেখা দেবে। তাদের দাবী মানতে বাধ্য হবে। এতে এমনিতেই গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতাসীন হওয়া যাবে। ড. কামাল হোসেন তো বলেছেন, এ জীবনে তিনি আর কিছু চান না। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নিজের জীবন দিতে পারেন। তার এই স্পিরিট সরকারবিরোধী অন্য নেতৃবৃন্দ যদি ধারণ করেন, তবে সুষ্ঠুভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন সহজেই গড়ে উঠবে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন একটি আন্দোলন গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য তাদের সামনে জোরালো নেতৃত্ব থাকতে হবে। তা নাহলে তারা কার নেতৃত্বে মাঠে নামবে? বিএনপিকে সাধারণ মানুষের এই পালস্ বুঝতে হবে। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে অন্যান্য দলের দাবীর ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার ইংগিত দিয়েছেন। এটা শুভ লক্ষণ। তাদের যে লক্ষ্য, তা পূরণ করতে হলে এর বিকল্প নেই। চার. ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ আগেও বলেছেন এবং এখনও বলছেন, ক্ষমতায় থাকতে না পারলে তাদের অনেক নেতা-কর্মী বিপদে পড়বে। অস্তিত্ব রক্ষার হুমকিতে পড়বে। এ থেকে বোঝা যায়, তারা যে ক্ষমতায় থেকে বিরোধী দলের ওপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, ক্ষমতা থেকে চলে গেলে এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া অবশম্ভাবী। ফলে সে যে কোনোভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করে ৫ জানুয়ারির মতোই ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে বিরোধীদল বিশেষ করে বিএনপি যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য না করে তবে তার পরাজয়ও নিশ্চিত এবং পরবর্তীতে এর পরিণতি কী হবে, তা বলাই বাহুল্য। ফলে সরকার যেমন তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো উপায় অবলম্বন করে চলেছে, তেমনি বিএনপিকেও তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তাদের দাবী আদায় করতে হবে। এছাড়া তার সামনে বিকল্প কোন পথ নেই। যদি দলটি সরকারবিরোধী অন্য সবদলের সাথে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে, তবে তার সাফল্য নিশ্চিত হতে পারে। সরকার যতই ভয়-ভীতি দেখাক না কেন তা উপেক্ষা করেই তাদেরকে জনসম্পৃক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। তাদের ধরেই নিতে হবে, এ সরকার যদি পুনরায় যেনতেনভাবে ক্ষমতাসীন হয়, তবে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। কাজেই লক্ষ্য অর্জনে তাদেরকে অন্য বিরোধীরাজনৈতিক দলের সাথে ছাড় দিয়ে হলেও জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। [email protected]
dae9bb6b-b0f9-46a0-ad10-8906a21fb66e
লাইফস্টাইল ডেস্ক : লবণ, লেবু আর গোলমরিচ- বিশেষ করে স্যালাট বানাতে গেলে এই তিনটি উপাদানের ব্যবহার আমরা প্রায়ই করে থাকি। স্যালাটের স্বাদটাও যেন একটু বেড়ে যায় এই উপাদানগুলো ব্যবহারে। তবে জানেন কি এগুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক- ঠাণ্ডা সমস্যায়- অনেকেরই ঠাণ্ডা লাগলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া এই টোটকাওগুলো কিন্তু দারুণ কাজ করে। গোল মরিচ গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটির ঘ্রাণ নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন। সহজেই বন্ধ নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। গলা ব্যথায়- ঠাণ্ডার কারণে অনেকেরই গলা ব্যথা হয়। এক গ্লাস উষ্ণ জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া এবং ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। দিনে দুইবার করলেই ফল পাবেন। মুখে ঘা হলে- বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে মুখে ঘা দেখা দেয়। ওষুধ না খেয়ে এই উপাদানগুলো কাজে লাগান। এক টেবিল চামচ বিট লবণ এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে খাবার খাওয়ার পর এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এতে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া মরে যায় এবং সহজেই মুখের ঘা দূর করে। বমি বমি ভাব হলে- অনেক সময় বেশি খাওয়া হলে নানা কারণে শরীরে অস্থিরতা কাজ করে, বমি বমি ভাব হয়। এক্ষেত্রে গোল মরিচ বেশ উপকারী একটি উপাদান। লেবুর রসও বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে নিন। এটি ধীরে ধীরে পান করুন। বমি বমি ভাব দূর হবে অনায়াসে।
b3148652-8a9c-42f9-8268-1ff3ba0b3624
এমদাদুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামের পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৪আগস্ট একই গ্রামের হারুন-অর-রশিদ ও হাবিজ উদ্দিনের নামে থানা অভিযোগ দেন মৃত রহমত আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম। অভিযোগটি তদন্ত করতে ২৭আগষ্ট দিবাগত রাতে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক অভিযুক্ত হারুনের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করে। এসময় এসআই নাজমুল ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ হারুণকে আটক করতে ধাওয়া করলে গভীর রাতে অন্ধকারে পড়ে গিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে ২৮আগষ্ট সকালে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত হারুণ জানান, দীর্ঘ ১৩দিন চিকিৎসাধীণ থাকার পর ৮ সেপ্টেম্বর বাড়ীতে ফিরে আসি। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় এসআই নাজমুল কোন প্রকার যোগাযোগ করে নাই। আমি ঘটনার বিচার চেয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর আবেদনের খবরে, এসআই নাজমুল হক (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আমার বাড়ীতে আসেন। আসার পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হবে না বলে জানান। বরং, মারধরের ঘটনার অভিযোগের বাদী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পা ভাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত করে থানার অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন এবং আরিফুলকে জড়িয়ে অভিযোগ দিলে চিকিৎসা ও মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। পরদিন (৯ সেপ্টেম্বর) তার কথামতো থানায় আরিফুলকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের চারদিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আরিফুল জানান, আমার মাকে মারধর ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিই। পুলিশ তদন্তে এসে অভিযুক্ত হারুণকে ধাওয়া করলে তার পা ভেঙ্গে যায়। উল্টো এসআই নাজমুল ইসলামের সহযোগিতায় হারুন আমার বিরুদ্ধে পা ভাঙ্গার অভিযোগ দেন। এব্যাপারে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বলেন, অভিযোগটির তদন্ত করতে তার বাড়ীতে গেলে সে দৌড়ে চলে যায়। তারপর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে ধাওয়া দিয়ে পা ভাঙ্গার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
5097f538-a0c1-4048-8cfc-d439baa90966
সালে আহমেদ, ডেমরাঃ রাজধানীর ডেমরায় রাষ্ট্রায়ত পাটকল শ্রমিকেরা ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় করিম জুট মিলের লেবার ইউনিয়ন ১৪৭০ এর উদ্যোগে মিলের মেইন গেটের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওই সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো.আবুল হোসেন। এ সময় পাটকল শ্রমিকদের ৬ দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর আবেদন জানিয়ে নেতারা বক্তব্য রাখেন। সরেজমিন ৬ দফা দাবী জানিয়ে শ্রমিকরা বলেন, অনুমোদিত মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া এককালীন প্রদান, পাট মৌসুমে কাঁচাপাট ক্রয়ের ব্যবস্থাসহ পাট ক্রয়ের বাজেট প্রদান, অবসারপ্রাপ্ত-চাকুরীচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্রাটুইটি ও পিএফ’র অর্থ প্রদান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড খাত থেকে ওই অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা, সংসদে পাশকৃত জাতীয়করণ বিল-২০১৮ বাতিল, বদলী শ্রমিক-কর্মচারী স্থায়ীকরণ, পূর্বের ন্যায় মিল কর্তৃপক্ষের নিকট কর্মচারী নিয়োগের দায়িত্ব ন্যাস্ত করা, চাকুরীরত অবস্থায় মৃত্যু বরণকারী শ্রমিক কর্মচারীদের পরিবারকে পূর্বের ন্যায় ৩৬ মাসের টাকা প্রদান, পাটকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও মসজিদের ঈমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগসহ সকল প্রকার দাবী বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, পাটকল রক্ষার্থে ও শ্রমিকদের ভাগ্যেন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি অচিরেই তিনি মেহনতি শ্রমিকের ৬ দফা দাবি মেনে নেবেন। কারণ শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করেন। এখনো তাদের ভাগ্য বদলায়নি। আর ঊর্ধমূল্যের বাজারে পাটকল শ্রমিকদের আয় এখনো অতি নগন্য।
4de032de-22d7-48da-95f1-9cff38344efa
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাড়ি রেখে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার এক আদেশ স্থগিত করেছে মিশরের আদালত। সাধারণত ধর্মীয় অনুভূতির কারণে মুসলিমরা দাড়ি রেখে থাকে। বৃহস্পতিবার মিশরের আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে এজেন্স ফ্রান্স প্রেস। দেশটির আইনজীবী মোহাম্মেদ হামেদ সালেম দাড়ি রেখে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার সুযোগের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। আপিলে তিনি দাড়ি রাখার সুযোগ রহিত করে তা নিষিদ্ধ করার আবেদন করেন। সরকার সমর্থিত সেই আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার আদালত এই রায় দেয়। ২০১২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি পুলিশ সদস্যদের দাড়ি লম্বা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০ জন দাড়িয়ালা পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে বহিস্কার করে। তবে সে বছরের জুলাই মাসে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা আবার কাজ করার সুযোগ পান। আপিলকারী আইনজীবী মোহাম্মেদ হামেদ সালেম বলেছেন, দাড়িয়ালা পুলিশ অফিসারগণ মিশরের জাতীয় ঐক্য, শান্তি, ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। মিশরের সাবেক গ্রান্ড মুফতি আলি গোমা ২০১৩ সালে দেয়া এক ফতোয়ায় বলেছিলেন, দাড়ি রাখা ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়। ইসলামে এটা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
307a707f-e8ff-44a2-a420-8eac53d2a1dd
দেশবাসীকে ফেসবুক অনলাইনের গুজব থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল এবং জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত দেশের বাইরে থেকে ৩০০ ফেসবুক পেজ পরিচালিত করে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সামসুল হক ভূইয়ার এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘তারা এসব ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং অসত্য কিছু তথ্য প্রকাশ করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা এগুলো মনিটর করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গুজব সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ সেল তৈরি করছি। সেপ্টেম্বরের শেষেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।’ তারানা হালিম বলেন, ‘সবাই জানে যে, বিএনপি-জামায়াতের অর্থের কোনো অভাব নেই। ফলে তারা প্রচুর অর্থ খরচ করে ফেসবুক পেজ ও কিছু কিছু অনলাইনের মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করবে। তিনটি বিভাগে এই গুজব সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ সেল কাজ করবে। যাতে তরুণ প্রজন্ম নিযুক্ত থাকবে। তিন ঘণ্টার মধ্যে এসব তরুণরা গুজব চিহ্নিত করে তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র ও রেডিওকে জানিয়ে দেবে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ হলুদ সাংবাদিকতা করেন বা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়া আদালতে ৫৭ ধারায় মামলা করারও সুযোগ রয়েছে।’ ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার পরিচালিত সরকারি বেতার কেন্দ্র ১২টি, বেসরকারি বাণিজ্যিক এফএম বেতার কেন্দ্র ২২টি এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও রয়েছে।
75fe76db-5967-472e-953a-5f23f421ed21
মইনুল ইসলাম, গাজীপুর ::বাংলাদেশের মডেলিং জগতের এক নতুন মুখ,আগামীর মডেলিং এর এক উজ্জল নক্ষত্র নূর বর্ষা । একদিন অনেক বড় মডেল এবং অভিনেএী হবেন এই এরকম একটি স্বপ্ন শৈশব থেকেই সযন্তে লালন করে আসছেন মনে মনে।পড়াশোনার পাশাপাশি চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমাজে ভাল মডেল এবং অভিনেএী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠান করতে চাই। ম্যাগাজিন, ফটোশুট,নাটক এবং মার্কেটিং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মডেলিংয়ে আসেন নূর বর্ষা।নূর বর্ষা এর ই মধ্যে মডেলিং এর কাজের ব্যস্ততা অনেক গুন বেড়ে গেছে। রাম্পে কাজ করছেন নিয়মিত বিভিন্ন ফ্যাশান হাউসে ব্রান্ড মডেল হয়ে ফটোশটও করছেন।বিজ্ঞাপনে ও নাটকের কাজের ভালো অফার ও পাচ্ছেন নূর বর্ষা। ভবিষ্যতে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছে আছে নূর বর্ষা।মডেলিং এবং অভিনয় করছেন কিছু শট ফ্লিম। নূর মনে করেন,ধৈর্য্য, নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করলে যেকোন ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
a979f715-c7f2-4355-8570-178ba7569687
ঐতিহাসিক অসলো চুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হল বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। ১৯৯৩ সালে চির বৈরী ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির পরও কোনো শান্তির দেখা মেলেনি। প্রতিদিনই ইসরাইলিদের হাতে লাশ হয়ে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। এবার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নামে যুবক-বৃদ্ধ সবার হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার নতুন ফন্দি এঁটেছে ইসরাইল। ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখার আইন শিথিল করে নতুন আইন পাস করেছে দেশটি। ফলে ঘরে-বাইরে, অফিস-আদালতে যেখানে ইচ্ছা সেখানে অস্ত্র রাখতে পারবেন ইসরাইলের নাগরিকরা। নতুন এ আইনবলে আরও ৫ লাখ ইসরাইলি অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন পাচ্ছেন। ইসরাইলি অস্ত্র আইনে ভয় পাচ্ছে ফিলিস্তিন। ইহুদিদের হাতে হত্যার শিকার হওয়ার হার আরও বেড়ে যাবে বলেই তাদের এ শঙ্কা। খবর আলজাজিরার। সামান্য কথাকাটাকাটিতেই ইসরাইলিরা গুলি করে ফিলিস্তিনি চাষীদের। এর কোনো বিচার হয় না। এমন অসংখ্য চাষী-দিনমজুরকে হত্যা করেছে ইসরাইলিরা। ইসরাইল সরকারের এ ‘বন্দুকনীতি’ নিয়ে সারাক্ষণই আতঙ্কে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। নতুন এ আইনের ফলে সে ভয় আরও বাড়ছে। পশ্চিম তীরে এক ইসরাইলি নাগরিকের গুলিতে নিজ জমিতেই নিহত হন মোহাম্মদ আহমদ জাল ওদেহ। রাস আল নাখলেহ শহরে গত বছরের নভেম্বরে এ ঘটনা ঘটে। ৪৬ বছর বয়সী আহমদ জাল স্ত্রী ও চার মেয়ে, তিন ছেলে রেখে গেছেন। আলজাজিরাকে তার স্ত্রী মানাল শেখাদেহ আবদেল রাজিক বলেন, ‘যদি আমি সেখানে থাকতাম তাহলে তাকে (ইসরাইলিকে) খুবলে খুবলে খেয়ে ফেলতাম। আমি মনে করি, আমার স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তার কাঁধে গুলি করেছে ওই ইসলাইলি নাগরিক।’ ইসলাইলের নতুন অস্ত্র আইনের কারণে এ ধরনের ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনা হরহামেশাই ঘটতে থাকবে বলে আশঙ্কা করছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ইসরাইলের জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী গিলাদ এরদান গত ২০ আগস্ট অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, নতুন আইনের কারণে দেশটির আরও প্রায় ৫ লাখ নাগরিক বন্দুক ব্যবহারের অনুমোদন পাবে। ইহুদি ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা রুখে দিতে সাধারণ জনগণকে আরও শক্তিশালী হতেই আইনের রদবদল করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে গিলাদ আরও বলেন, ‘দেশের সচেতন নাগরিকরা লোন-ওলফ (একক দুর্বৃত্ত হামলা) হামলা ঠেকাতে অস্ত্র রাখার অনুমতি পাবেন।’ নতুন আইনে বলা হয়েছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও বিশেষ অনুমতি ছাড়াই এখন অস্ত্র রাখতে পারবেন ইসরাইলিরা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা, পুলিশ সদস্যরাও বাড়িতে অস্ত্র রাখতে পারবেন। তাদেরকে আর অস্ত্র ফেরত দেয়া লাগবে না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। ১৮ বছর বয়স হলে ইসরাইলে বাধ্যতামূলক সামরিক ট্রেনিং নিতে হয়। অর্থাৎ ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব যে কেউ সামরিক ট্রেনিং নিলেই অস্ত্রের লাইসেন্স পাবেন। স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) তথ্যমতে, পশ্চিম তীরে ১ লাখ ৪৫ হাজার ইসরাইলি ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখেন। আইনের শিথিলতার কারণে এখন আরও ২ লাখ ইসরাইলি অস্ত্র রাখার সুযোগ পাবেন। ফিলিস্তিনিদের ভয়ের কারণ হচ্ছে, গত ১০ বছরে ইসরাইলি বাসিন্দাদের দ্বারা ২৯ জন ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সরাসরি গুলি করেই তাদের হত্যা করা হয়েছে।
52aef6c3-3495-4fc6-b5ac-e84d5a4e5ab7
এমদাদুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : সামিয়ানা নেই, চেয়ার নেই, টেবিল নেই, উম্মুক্ত কর্দমাক্ত মাঠ। মাঠের কিছু অংশে ত্রিপল বিছানো। হাজার হাজার নারী পুরুষ ত্রিপলে বসে একজনের কথা শোনছেন।কথা হচ্ছে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়ষ্কভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, শিক্ষার্থী বৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণসহ সরকারের নানা উন্নয়ন নিয়ে।কোনো অতিথি ছাড়া বৃত্তাকারে সাজানো অবস্থায় সরকারের নানামুখী উন্নয়ন নিয়ে এসব কথা বলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। উঠান বৈঠকে আসা স্কুল শিক্ষার্থী ছায়া সুলতানা দাঁড়িয়ে বলেন, স্কুল জীবনের শুরু থেকে বৃত্তি পাচ্ছি। বিনামূল্যে পাঠ্যবই পাচ্ছি। চন্নাপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী গৃহিণী রোমেজা খাতুন (৬১) বলেন, পৌরসভা থেকে নিয়মিত বয়ষ্ক ভাতা পচ্ছি। রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়ালসেতু হয়েছে। রেলপথে ডেমু ট্রেন চালু হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লোন হয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশে মাওনা চৌরাস্তায় উড়াল সেতু হয়েছে। এসব উন্নয়নের খবর শোনেছি। গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, গাজীপুর-৩ আসনের তৃণমূলে ৭’শর বেশি উঠান বৈঠক হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে এবং তাদের নতুন নতুন চাহিদার কথা জানতেই এ বৈঠক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী ইব্রাহীম মাহমুদ বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি এর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ বার্তা থেকেই মানুষের কাছ থেকে নতুন চাহিদার আবেদন আসবে। শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী মাসুদ আলম ভাঙ্গী বলেন, তৃণমূল মানুষের সাথে মাটিতে বসে তাদের কথা শোনা ও সরকারের উন্নয়নের কথা শোনাতে সরকারের সাথে মানুষের একটি সম্পর্ক তৈরী হয়। রাজনীতিতে এ সম্পর্কের কোনো বিকল্প নেই। করেন শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পরিচালনায় উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন মহাজোট নেতা গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম এম এ, মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমীর হামজা, তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার, শ্রীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমজাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, মাহবুবুর রহমান, তেলিহাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী ইব্রাহীম মাহমুদ, শ্রমিকলীগ নেতা আরজু মিয়া, শ্রীপুর পৌর শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর পৌর মোটর শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রমূখ।
f58e5335-4f5d-43ba-89cc-8f7140c372ab
স্পোর্টস ডেস্ক : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের জন্য এশিয়া কাপ হয়ে গেছে এক হতাশার নাম। গত তিন আসরে দুইবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ নেওয়া হয়নি টাইগারদের। সর্বশেষ আসরে নিজেদের মাঠে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। টাইগাররা এবার আরব আমিরাত যাচ্ছে শিরোপার টার্গেট নিয়ে। গ্রুপ পর্বে টাইগাররা শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে। আগামীকাল প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাই এখন থেকেই স্কোয়াড নিয়ে টাইগার ভক্তদের মনে প্রশ্ন- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেমন সেরা একাদশ? টাইগারদের সেরা একাদশের কয়েকটি নাম আপনি চাইলেই বলে দিতে পারবেন। তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ- এই পাঁচ নাম টাইগার একাদশের নিয়মিত মুখ। সেই সঙ্গে মুস্তাফিজও খেলছেন তা নিশ্চিত। যদিও সাকিবের ফিটনেস নিয়ে একটা ইস্যু আছে। তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সাকিব খেলবেন। এবার এশিয়া কাপে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে লিটন দাসকে। যদিও তামিমের ইনজুরি নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর না খেলার কথা শোনা যায়নি। আর বিসিবিও জানিয়েছে, তামিমের ইনজুরি নিয়ে তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তাই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তামিম-লিটন জুটিকেই এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে দেখা যাতে পারে। তাছাড়া শুরুতেই বামহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন ক্রিকেট বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। এরপর তিনে অটো চয়েস সাকিব। বিগত কয়েকটি সিরিজে তিন নম্বর পজিশন নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করেছেন সাকিব। এই পজিশনে রানও পাচ্ছেন। এরপর চারে মুশফিক। পাঁচে এবার মোসাদ্দেককে খেলানো হতে পারে। কারণ শেষ দিকে স্লগ ওভারে মাহমুদউল্লাহর মতো একজন ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহ খেলবেন ছয়ে। আর সাতে সাব্বিরের বদলে সুযোগ পাওয়া আরিফুল হক। সবশেষ বিপিএলে তাঁর নিখুত ফিনিশিং এবং শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার প্রশংসা করেছে সবাই। শেষ দিকে রিয়াদ-আরিফুল জুটি জমে উঠলে দ্রুত রান আসবে স্কোর বোর্ডে। আর আটে মাশরাফি। বিগত কয়েকটি সিরিজেও এই পজিশনে খেলেছেন টাইগার কাপ্তান। শেষদিকে, রুবেল-মুস্তাফিজ নিশ্চিত। আর একটি পজিশনে স্পিনার মেহেদী মিরাজ এবং নাজমুল অপুর মধ্যে যে কোনো একজন খেলতে পারেন। তবে মোসাদ্দেকের জায়গায় স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া মমিনুল বা মোহাম্মাদ মিঠুনকেও দেখা যেতে পারে। আয়ারল্যান্ডের ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ `এ` দলের হয়েদারুণ খেলেছেন তিনি। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৬। টাইগারদের সম্ভাব্য সেরা একাদশ মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত/মমিনুল হক/মোহাম্মাদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ/নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
b122aad6-5d3a-476d-9e03-3c3d995e67c2
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মনিটরিং এবং বাস্তবায়নে এমপিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় অংশ নিতে হবিগঞ্জ পৌঁছেছেন দেশের ৩০ এমপিসহ জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চীফ হুইপ ও হুইপ।এমপিদের দুই দিনব্যাপী কর্মশলায় প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ ও হুইপ ইকবালুর রহিম।শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটগামী পারাবত ট্রেনে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে নামেন তাঁরা। জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে জেলার বাহুবল উপজেলার কামালের বাগানখ্যাত ‘দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট’ এ। এদিকে অতিথিদের রেলস্টেশনে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা রেলস্টেশনে উপস্থিত হন। এছাড়াও স্কুল, কলেজের স্কাউট, বিএনসিসি দলের সদস্যরা অতিথিদের কে স্বাগত জানান। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, ইউএনডিপি আয়োজিত ‘মনিটরিং এবং বাস্তবায়নে এমপিদের ভূমিকা’ শীর্ষক দুইদিনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পীকারসহ দেশের ৩০ এমপি ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে হবিগঞ্জ পৌঁছেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে ঢাকাগামী পারাবত ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জ ছেড়ে যাবেন।
ad5f0a0c-db4e-465c-b482-ee23ccace825
ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? যদি এই সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আপনি ভুগতে পারেন অস্টিওপোরোসিস এ। অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। পুরুষের চেয়ে নারীরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি। তবে আগে থেকে লক্ষণ জানা থাকলে এই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে আক্রান্ত হলে তাই সাবধান হওয়া জরুরি। জিনিউজ অবলম্বনে জেনে নিন অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়। যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন অস্টিওপোরোসিস অস্টিওপোরোসিস নিঃশব্দে ক্ষতি করে। তাই প্রথম থেকে লক্ষণ বোঝা মুশকিল। তবুও সবসময় সজাগ থাকুন। ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে, পেশিতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। দাঁতে ক্ষত হলে কিংবা কম সময়ের ভেতর অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে গেলে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে শিরদাঁড়ায় আকারগত পরিবর্তন হলে বা ব্যথা হলে দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। যাদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস এর ঝুঁকি বেশি ১। যাদের বয়স ৪০ এর বেশি তাদের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই অসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ২। পরিবারের কারও, বিশেষ করে মায়ের যদি এই রোগ থাকে তাহলে এই অসুখ সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা রোদে কম বের হন তাদেরও এই অসুখ হতে পারে। ৩। রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের শরীরের হাড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল হয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। ৪। যারা ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ করে তাদের এই রোগ হতে পারে। কারণ, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যা করণীয় ১। পায়ের পাতা, হিপ বোন বা মেরুদণ্ডে ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। ২। সামান্য ব্যথা হলেও ফেলে রাখবেন না। ৩। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম খান। ৪। নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। ৫। খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার রাখুন।
c0e05e9a-94da-4ae9-bb7a-08ca36736b63
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে মিয়ানমারে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০০ জন ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়। খবর আল-জাজিরার। বিক্ষোভকারীরা এসময় ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে ও-কে সাজা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘হত্যা কোনও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা নয়’ এবং ‘সত্য প্রকাশ কোনও অপরাধ নয়’ স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। এছাড়া ওই দুই সাংবাদিকের ছবি সম্বলিত কালো বেলুনও ওড়ায় তারা। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা খুবই রাগান্বিত। আমরা নতুন সরকারের আচরণে হতাশ। তাদের ধিক্কার জানাই। এই বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক সাংবাদিক থার লুন জাউং হতেত বলেন, ‘নিজের কাজ করার জন্য’ ওই দুই সাংবাদিককে সাজা দেয়ায় মিয়ানমারে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হারানোর অর্থ হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের অগ্রযাত্রা থেমে যাওয়া। ওই দুই সাংবাদিককে সাজা দেয়ায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ এর নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে ওই দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের একটি আদালত। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ জন রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে হত্যার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
8e95a961-0616-4f0e-9d32-e2b3aa306ed2
সাংবাদিক সমাজ, সম্পাদক পরিষদ, নাগরিক সমাজ ও দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিলে স্বাক্ষর না করার জন্য মহামান্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের একাংশসহ ১২টি সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে সংবিধান, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি বিলটি সংসদে ফেরত পাঠিয়ে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারবিরোধী ধারা সংশোধনে প্রেসিডেন্ট ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিএফইউজে ও এর অঙ্গ ইউনিয়নগুলোর নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গঠিত একদলীয় সংসদে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তি ও সংশোধনী প্রস্তাব উপেক্ষা করে পাসকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ আইন সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গণতান্ত্রিক দেশে তো নয়ই কোনো সভ্য সমাজে এ ধরনের আইনের কথা কল্পনাও করা যায় না। আইনটি সংসদে উপস্থাপনের সময় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী যে প্রতারণামূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা আমাদের স্তম্ভিত করেছে। তিনি সম্পাদক ও সাংবাদিকদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে নির্জলা মিথ্যাচার করেছেন। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, একদিকে প্রায় শত বছরের পুরনো অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ঔপনিবেশিক এনালগ আইনকে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে টেনে আনা হয়েছে। অন্যদিকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা পুলিশকে দিয়ে প্রকারান্তরে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিপীড়নের সুযোগ অবারিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আইনটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন- বিএফইউজে একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে)র সভাপতি শামসুর হক হায়দরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি শহীদ জয় ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক গণেশ দাস, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ আলম শফি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সভাপতি জিএম হিরু ও সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল হক রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি সভাপতি আইয়ুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি এইচএম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ: গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএফইউজে ও ডিইউজে (একাংশের) নেতৃবৃন্দ। শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সময়ে সারা দেশে সব অঙ্গ ইউনিয়নে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।
46c375fa-b214-4361-8f5a-80638cda0875
শিশুটির নাম ফাতিমা মাসুদ। বয়স মাত্র দুই বছর। এখনো ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। তবে আশ্চের্যের ব্যাপার হলো তাঁকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে তার সব উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। ফাতিমাকে প্রশ্নগুলো করছে তার বড় বোন মারইয়াম মাসুদ। ফাতিমা যে কঠিন কঠিন প্রশ্নগুলোর জবাব দিচ্ছে তা অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমও ভালভাবে জানে না। শিশুটির উত্তর থেকে তার জ্ঞানের গভীরতা সহজেই অনুমেয়। ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি সম্পর্কেও জ্ঞান রাখে ফাতিমা। ঠিক করে কথা না বলতে পারা ফাতিমা কালিমা তাইয়্যেবা, ঘুমাতে যাবার দোয়া ও জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া শিখে ফেলেছে। বিসমিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয় জানে এই শিশু। সামাজিক মাধ্যমে এ ভিডিওটি এখন বেশ ভাইরাল। ফেসবুকে ইতিমধ্যে ভিডিওটি ৫২ লক্ষ ২৫ হাজার বার দেখে ফেলেছে বিশ্ব। কমেন্টে প্রশংসায় ভাসছে এ দুই বোন। এ সহোদরের মতো সন্তানের বাব- মা হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলে উল্লেখ করছেন অনেকে। ভিডিওটির প্রথমে দেখা যায়, মারইয়াম তার দুই বছর বয়সী বোনকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এটাই ফাতিমার প্রথম সাক্ষাৎকার উল্লেখ করে মারইয়াম ফাতিমাকে প্রশ্ন করে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কয়জন? কোনো সময় না নিয়েই ফাতিমা উত্তর দেয় – একজন। আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি? আল কোরআন কার প্রেরিত? সবকিছু কে সৃষ্টি করেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তরে ফাতিমা জানায় – আল্লাহ দ্য অলমাইটি (সর্বশক্তিমান আল্লাহ)। সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে আল কোরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা আল কাওসার পুরোটা পাঠ করে শুনায় ফাতিমা। ভিডিও দেখে অনেকে বলছেন, এ ধরনের চর্চার মাধ্যমে শিশুরা নৈতিক শিক্ষা লাভ করবে এবং তাদের ভবিষ্যত জীবনে প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্থ হবে। কেউ বলছেন, প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের শিশুদের এমন চর্চা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০ বছর পরে এ দেশের সামাজিক চিত্র রূপকথার মতই হবে। মুসলিম জাতি হিসাবে সব বাবা-মায়ের উচিত এভাবে ইসলামিক শিক্ষা দিয়ে বাচ্চাদের গড়ে তোলা মন্তব্য করে এই দুই বোনকে উদাহরণ হিসাবে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন অনেকে। রমজান মাসে রোজা রাখার ব্যাপারেও জ্ঞান রাখে মারইয়ামের বোন ফাতিমা। ফাতিমা ও মারইয়ামের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। এ দুই শিশু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসী বলে জানিয়েছেন নেটিজনরা।
c23aafe9-3fe5-4fea-8915-06bfd1255b0a
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা (বিএসকেএস) এর নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষে শুক্রবার ঐতিহাসিক রমনাপার্কে বিএসকেএস কেন্দ্রীয় কমিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান একেএম জুনাইদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংস্থার মহাসচিব এম এ মমিন। এসময় তিনি সভার আলোচ্য বিষয় ও আমাদের আগামীদিনের করনীয় নির্ধারনে সকলের মতামত আহবান করেন। উপস্হিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ পরামর্শ ও মতামত তুলে ধরে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্হিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা লায়ন এড. সরোয়ার হোসাইন লাভলু, উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য এম জিএম সজল, মোঃ আমজাদ হোসেন সজল, যুগ্ন- মহাসচিব আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তফা খান, অর্থ সম্পাদক এম ফজলুল হক ফজলু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ সরকার, ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ পাটোয়ারি মনির, নির্বাহী সদস্য শহিদুল ইসলাম সোহেল, হাকিম মনির আহম্মেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে সংস্হার পরিচিতি ও অভিষেক অনুষ্ঠান সফল করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। প্রেস রিলিজ। ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ১৮।
2c4809a8-30fc-4354-ba99-42d54244efaa
স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব ধারা উপধারা বহাল রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সংসদে পাস করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সাংবাদিক সমাজের মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ উপেক্ষা করে এই আইন পাস করায় নিন্দা জানান ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খান এক বিবৃতিতে বলেন, বহুল আলোচিত এই বিলের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সুনির্দিষ্ট কিছু ধারায় আপত্তি জানিয়ে আসছিল। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিদের সাথে বৈঠক করে আপত্তিকর ধারাগুলো বাদ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর সংসদীয় কমিটিতেও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মত প্রকাশের অন্তরায় ও স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা হতে পারে এমন কোন ধারা আইনে থাকবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম সাংবাদিকদের সকল মতামত ও সুপারিশ উপেক্ষা করেই ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হলো। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় ছড়িয়ে দেয়া এবং বৃটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন অন্তর্ভূক্ত করা, বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করার বিধান রাখায় সাংবাদিকদের নিগৃহীত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিধান মৌলিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আইনটি তথ্য অধিকার আইনের সাথেও সাংঘর্ষিক।
56484a79-56e8-4432-bc7b-36f6d5c63abe
এসকে,এমডি ইকবাল হাসান, লোহাগড়া (নড়াইল)॥ ভরণপোষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে গর্ভধারীণী ৮৬ বছর বয়সী মা হুজলা বেগম কে তার সন্তানরা বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ওই মাকে উদ্ধার করে শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শনিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে নড়াইলের পুলিশ সুপার লোহাগড়া উপজেলা হাসপাতালে অসুস্থ হুজলা বেগম কে দেখতে জান এবং ব্যাক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেন। মায়ের সাথে অমানবিক আচরণ করায় পুলিশ হুজলা বেগমের ছেলে ডাকু শেখ, রাবু শেখ ও মেয়ে কুলসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। নড়াইলের লোহাগড়ার কুচিয়াবাড়ি গ্রামে বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর হুজলা বেগমের স্বামী ছামাদ শেখ মারা যান। অনেক কষ্টের মধ্যেই তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে বড় করেছেন তিনি। ছেলে মেয়েরা বিয়ে করে সকলে আলাদা বসবাস করেন। বৃদ্ধ মায়ের দায়িত্ব নিতে চাননি সন্তানরা। আর তাই গত বুধবার রাতের আধারে বাড়ির অদূরে বাঁশ বাগানের নিচে মাকে ফেলে দেয় ছেলেরা। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় ওই মাকে উদ্ধার করে বড় ছেলে ডাকু শেখের বাড়িতে রাখেন। ছেলের কাঁচা ঘরের বারান্দায় প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই মা। নানাবিধ রোগে অক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকায় সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল গর্ভধারীণী মা। শনিবার হাসপাতালে হুজলা বেগমের মেয়ে চায়না মায়ের শর্যাপাশে বসে ছিলেন।তিনি বলেন, আমি বিধবা।দূরে থাকি। মায়ের সাথে এমটি করা ঠিক হয়নি। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, হুজলা বেগমের দুই ছেলে ডাকু শেখ, রাবু শেখ ও মেয়ে কুলসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার জিসান জানান, অযতেœ,অবহেলায় হুজলা বেগমের শারীরিক দূর্বলতা বেড়ে গেছে। কোমরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন পি,পি,এম হুজলা বেগমকে দেখতে হাসপাতালে এসে আর্থিক সহযোগিতা দেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনে নির্দেশ পেয়ে আমি হুজলা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। মাননীয় মন্ত্রী সার্বিক খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে হুজলা বেগমকে ঢাকায় চিকিৎসা ও থাকার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি, আরো বলেন, এঘটনায় এমন শিক্ষা দেয়া হবে যাতে করে কোন সন্তান তার পিতা-মাতার সাথে এমন অমানবিক আচরণ করবার সাহস না পায়। নড়াইল থেকেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে।
78ba835f-161f-429c-bc07-7504bce31570
মামুন হেসেন, সাতক্ষীরা থেকেঃ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পঞ্চম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রতিবেশি কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শিশুটিকে রোববার সকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আইউব হোসেন আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের বাসিন্দা। শিশুটির পিতা জানান, তার মেয়ে দরগাপুর এলাকার একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে একটু দুরে তার খালার বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রতিবেশি নিকটাত্মীয় আইউব হোসেন তাকে পৌছে দেয়ার কথা বলে পিছু নেয়। পথিমধ্যে পুকুরের কিনারে ঝোপের মধ্যে গামছা দিয়ে মেয়েটির মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তার গোঙ্গানির শব্দে আরেক প্রতিবেশি রাজিবুল্লাহ এগিয়ে এলে আইউব হোসেন পালিয়ে যায়। রাতে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সকালে স্বজনরা তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব নাথ জানান, খবর পেয়ে তিনি এসআই হাসানুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেছেন। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
99382c22-7233-484c-af3e-ce3e3b51bf5c
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস: বাগেরহাটে পান চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদল হয়েছে ভাগ্য বদলে খুশি চাষিরা। অনেক চাষিই ইতমধ্যে চাষ ব্যবস্থা পাল্টে পান চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পান চাষের সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।বাগেরহাটের পান মধ্যপ্রাচ্যর সহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচেছ। সেই সাথে মজবুত হবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। পান চাষে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও লাভবান হওয়ায় দিন-দিন এর কদর বাড়ছে। শিক্ষিত বেকার যুবকেরা এ পেশায় ঝুকে পড়েছে। এছাড়া বাগেরহাটের ঝাল পানের কদর সারা দেশে। তাই ঝাল পান চাষ এ জেলাতে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এছাড়া বাগেরহাটের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতের পান মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচেছ। এ জেলার উৎপাদিত পানের ৭০ শতাংশই রফতানি হয়ে থাকে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে। চলতি বছর বাগেরহাটে ৯ উপজেলায় প্রায় চার হাজার বিঘা জমিতে ঝাল ও মিষ্টি জাতের পানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যেচিতলমারী উপজেলায় প্রায় ৮০ শতাংশ ।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় দেড় যুগ আগে লবন পানির প্রকোপে এ অঞ্চলের বিল গুলোতে কোন ফসল ফলত না। তখন থেকে কৃষকেরা চাষ ব্যবস্থা পাল্টে চিংড়ি ঘেরে মাছ চাষ শুরু করে। প্রথম দিকে সাফল্য পেলেও গত কয়েক বছর ধরে চিংড়ি চাষে ধসের কারণে চাষিরা অর্থনৈতিক ভাবে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে অনেক চাষি বিকল্প ফসল চাষের পরিকল্পনা করেন। শুরু হয় পরীক্ষামূলক পান চাষ। বর্তমানে এ চাষে অনেক চাষিই সাফল্য অর্জন করেছে। তাই পান চাষে ভাগ্য বদলে খুশি চাষিরা। সরেজমিনে জানা গেছে, চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের পঞ্চানন মজুমদার এক একর জমিতে পান চাষ করে ৩ লাধ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এতে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন। অনুরুপ অশোকনগর গ্রামের অমর মন্ডল ৭ কাঠা জমিতে পান চাষে প্রথম বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার বিক্রি করেছেন। এ থেকে তারা পরপর কয়েক বছর পান তুলতে পারবেন। পান চাষি মিঠুন ঘরামী, নিত্যানন্দ ঘটক, অবনী মন্ডল, খগেন্দ্র ঘরামী, সদানন্দ ঘরামী, বলাই ঘরামী, উপেন্দ্র বালা, গৌর বাড়ৈ, অখিল নাগ, নিখিল নাগ, বলরাম বাড়ৈ, শচীন বিশ্বাস, বড়রবাড়িয়ার শংকর বিশ্বাস, কুড়ালতলার মোসলেম আলী ও খড়মখালীর সুবাস মজুমদার জানান, পান চাষ তাদের অর্থনৈতিক সাফল্য দেখিয়েছে। বদলে গেছে তাদের ভাগ্য। তাই তারা পান চাষ করে মহাখুশি। তারা আরও জানান, ১ একর জমিতে প্রথম বারে পান চাষে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ যায়। কিন্তু পান তোলা যায় ৭ বছর ধরে। কৃষকদের জন্য এটি একটি লাভজনক চাষ। চিতলমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবপুর, বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পরীক্ষামূলক ভাবে পান চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছে। এ অঞ্চলের মাটি পান চাষের জন্য উপযোগি। এখানে প্রায় ৫০ একর জমিতে সাথি জাতের পান চাষ হচ্ছে এবং দিন দিন পান বরজের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পান চাষের সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের কৃষক পরিবার গুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। সেই সাথে মজবুত হবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড।
9a290495-8b19-4a9f-881e-a4890727e1ab
মামুন হোসেন, সাতক্ষীরা থেকেঃ সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটায় মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটেছে। পাটকেলঘাটার শাকদাহ, তৈলকূপি, বাইগুনি, মিঠাবাড়ি, নগরঘাটা, আসাননগর, ভৈরবনগর, কাপাশডাঙ্গা, বড়বিলা, সরুলিয়া, সারসাসহ আশেপাশে এলাকার মাছের ঘেরগুলোতে যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ঘের মালিকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেক ঘেরের বেড়িতে ঝুলছে কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, বরবটি, উচ্ছে, ঢেঁড়শ, খিরায়, পুইশাকসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। বিশেষ করে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের দু’পাশের ঘেরের বেড়িগুলো দেখলে মনে হবে সবজি চাষে সবুজ বিল্পব ঘটেছে। এসব এলাকার ঘের মালিকরা ঘেরের বেড়িতে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করছে। এর ফলে দেশের কাঁচামালের ঘাটতি অনেকটা পূরণ হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন তারা নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, তেমনি ঘটছে সবুজ বিপ্লব। এসব সবজি বিক্রি করার জন্য কৃষকদের এখন আর পরিবহনে করে বাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে না। পাইকাররা ঘেরে এসেই টাটকা সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ঘের মালিকদের সময় ও পরিবহন খরচ যেমন হ্রাস পাচ্ছে তেমনি পাশাপাশি কিছু বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। মিঠাবাড়ী গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও আমজাদ হোসেন জানান, পাটকেলঘাটার ভৈরবনগর মোড় থেকে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন ঘের চাষীর কাছ থেকে দেড়-দু’শ ক্যারেট সবজি ক্রয় করি। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে সাত-আটশ পিচ কুমড়া, আট-নয়শ পিচ লাউ, দুই-তিনশ কেজি শশা, দুই-আড়াইশ কেজি করল্লা, ঝিঙে ও ঢেড়স। এসব সবজি পটুয়খালী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ও চট্টগ্রামে বাজারজাত করা হয়। পাটকেলঘাটা শাকদাহ গ্রামের মাছ চাষি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি গত দু’বছর ধরে শাকদাহ বিলে ২৫ বিঘার একটি ঘেরে মাছের পাশাপাশি বেড়িতে নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন। বছরে তিনি লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন, তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ঘেরে মাছ চাষে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক ঘেরে মাছে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ঘের মালিকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ঘেরের বেড়িতে সবজি চাষ করায় কিছুটা লাভের মুখ দেখছে ঘের মালিকরা। মিঠবাড়ী গ্রামের ঘের চাষী আবুল হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন মাছ চাষ করেন, মাছে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় লাভবান হতে না পারলেও উপজেলা কৃষি কর্মকতার পরামর্শে ঘেরের বেড়িতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখছি। এক বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের বেড়িতে সবজি চাষ করতে খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। কিন্তু শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এই তিন মাসে একটি এক বিঘা ঘেরের বেড়িত সবজি চাষ করে ৫০-৬০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন করা যায়। এ বিষয়ে তালা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য ঘেরে সবজি চাষ করে চাষীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ঘেরের লিজের টাকাও পরিশোধ করতে পারছেন। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করতে তেমন বেশি খরচ হয় না। ফলে সবাই সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
dfba40e3-7a21-4d5a-a70a-3cc5a9e2a13d
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূণ্য পদ পূরণের লক্ষ্যে ১৩৭৮টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক পর্যায়ে সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। গত ৮ অক্টোবর ছিল ওই পদে আবেদনের শেষ দিন। একহাজার ৩৭৮টি পদের জন্য আবেদন করেছেন দুই লাখ ৪৮ হাজার ৩২২ জন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদটিতকে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সরাসরি এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলায় ৩৬৫ জন, ইংরেজিতে ১০৬ জন, গণিতে ২০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৮৩ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ১০ জন, জীববিজ্ঞান ১১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় আট জন, ভূগোলে ৫৪ জন, চারুকলায় ৯২ জন, শারীরিক শিক্ষায় ৯৩ জন, ধর্মে ১৭২ জন এবং কৃষি শিক্ষায় ৭২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ পরীক্ষা হিসেবে চারটি বিষয়ে ২০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে বাংলা ৫০ নম্বর, ইংরেজিতে ৫০, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ৪০ এবং মানসিক দক্ষতা বিষয়ে ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক আকারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা সময় দেয়া হবে।
447669ee-6204-46e7-8ebe-6be6e2bfa168
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট থেকে ৬৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। কিন্তু দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ সম্পর্কে জানেন না ফিরে আসা কেউই। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা এসে পৌঁছান। যে কোম্পানিতে কাজের জন্য তারা গিয়েছিলেন সেই কোম্পানি থেকে তাদের রিসিভ করতে কেউ আসেনি। দুইদিন কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে অবস্থান করার পর তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তারা শনিবার রাতে দেশে পৌঁছান। দেশে ফিরে আসা চাঁদপুরের রিংকু সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ৬৩ জন মালয়েশিয়ার সুপারম্যাক্স কোম্পানিতে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের এয়ারপোর্টে কেউ নিতে আসেনি। দুইদিন এয়ারপোর্টে থাকার পর পুলিশ দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে এজেন্সিকে জানিয়েছি। তারা বলেছে, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আবার যেতে পারবো। তবে কি কারণে কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে তাদের রিসিভ করা হয়নি এই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যে এজেন্সির মাধ্যমে তারা গিয়েছিলেন তার স্বত্বাধিকারী মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়সহ জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা এই বিষয়ে অবগত আছে এবং শুরু থেকেই তদারকি করছে বলে জানিয়েছেন বায়রার মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী নোমান। তিনি বলেন, আমরা শুক্রবার থেকে বিষয়টি তদারকি করছি এবং মন্ত্রণালয় জানে বিষয়টা।
a99c482f-3d5c-4ea7-a7aa-39057c1eac2c
অদূর ভবিষ্যতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করবে রোবট সেনা। সেই সাথে যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হবে জিন প্রযুক্তি এবং ওষুধ প্রয়োগে বিশেষ শক্তিধর মানব সেনা। যুদ্ধে প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান প্রয়োগে কমতে থাকবে আবেগ, অনুভূতির গুরুত্ব। এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন এক গবেষণা রিপোর্টে। খবর বিবিসির। ভবিষ্যতে ব্রিটেনকে কী ধরণের প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে পারে? – সে সম্পর্কে আগাম ধারণা দিতেই “দ্য ফিউচার স্টার্ট টুডে” (এখনই ভবিষ্যতের শুরু) শিরোনামে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিটেন ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়া সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণা রিপোর্ট তৈরিতে অংশ নেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “যদিও আরো অনেকদিন হয়তো যুদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মুখ্য ভূমিকা মানুষেরই থাকবে, কিন্তু রোবটের ক্রমবর্ধমান প্রয়োগ এবং আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কারণে যুদ্ধের মৌলিক চরিত্র বদলে যাবে। আবেগ, অনুভূতির গুরুত্ব কমতে থাকবে।” রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে রণাঙ্গনে মোতায়েনের জন্য জিন অদল-বদল করে, ওষুধ প্রয়োগে বিশেষ ধরণের মানব সেনা তৈরির সম্ভাবনা প্রবল। এসব সৈন্যদের শারীরিক এবং মানসিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা হবে সাধারণ মানুষের চেয়ে বহুগুণ শ্রেয় । বলা হয়েছে, দিন দিন প্রযুক্তির যে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, তাতে আগামি ৩০ বছরে মানুষের ক্ষমতা দ্রুত হারে বাড়তে থাকবে। “যুদ্ধক্ষেত্রে এসব প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সেইসাথে মানুষ ও যন্ত্রের সমান্তরাল ব্যবহারে সামরিক ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাব। তবে একই সাথে রিপোর্টে বলা হয়েছে – রাষ্ট্রের “নীতি, নৈতিকতা এবং আইনি” সীমানা স্পষ্ট করতে হবে। যুদ্ধ হবে মহাকাশে, সাইবার জগতে নিরাপত্তা বিষয়ক এই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে , যুদ্ধে প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের রণাঙ্গন হবে ব্যতিক্রমী। শত্রুর সামরিক এবং অর্থনৈতিক স্থাপনা হয়তো আর মূল টার্গেট থাকবেনা। “লড়াইয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। যুদ্ধ হবে মহাকাশে, সাইবার জগতে, সাগরের নীচে…” সেই সাথে, রিপোর্টে সাবধান করা হয়েছে, পারমানবিক অস্ত্রের প্রয়োগের ঝুঁকি ভবিষ্যতে বহুগুণ বেড়ে যাবে। কারণ, প্রযুক্তির সহজলভ্যতার ফলে নতুন নতুন দেশ পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। “পারমানবিক শক্তিধর দেশের সংখ্যা বাড়বে, পারমানবিক এবং অন্যান্য কৌশলগত অস্ত্র তৈরির জন্য বিনিয়োগ বাড়বে, সেই সাথে বাড়বে পারমানবিক অস্ত্র প্রয়োগের সম্ভাবনা।” রিপোর্টটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলেছেন, “এটা পরিষ্কার যে আমরা এখন এমন এক পৃথিবীতে বসবাস করছি যেটি দ্রুত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।”
5dd075e5-bf3d-4f1f-8fb4-6855309c1492
মামুন হোসেন, সাতক্ষীরা থেকেঃ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের পালিত কাটি গ্রামে খুকুমনি (৩৬) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গতকাল রবিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের পর হত্যা এমন অভিযোগ ওই গৃহবধূর পরিবারের। নিহত খুকুমনি পালিত কাটি গ্রামের বাহারাইন প্রবাসী আব্দুল্লাহ টাপালীর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতে। স্থানীয়রা ও নিহত খুকুমনির মা হামিদা বেগম জানান, গত ৩ বছর যাবৎ তার জামাই আব্দুল্লাহ বাহারাইনে আছে। সেই থেকে খুকুমনি তার দুই ছেলেকে নিয়ে পালিতকাটি গ্রামের বাড়িতে বসবাস করত। সেই সুযোগে পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামের সুভাষ মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল (৩৯) তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত। এবং দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল তার মেয়েকে। কিন্তু খুকুমনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করে। যার কারণে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে খুকুমনিকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করছিলো বলে তিনি জানান। এসময় তিনি আরও বলেন তার মেয়ের দুই ছেলে। বড় ছেলে ঘটনার আগের দিন তার বড় চাচার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো আর ছোট ছেলে হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র। সে মাদ্রাসায় থাকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন বাবুর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেছে। কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রবিবার সকালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, আজ সোমবার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাছাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
29c18f09-8fcd-4d12-be4e-c61b2ce9235a
কাজের ফাঁকে, ক্লাসের ফাঁকে অথবা অবসর সময়ে এক কাপ চা না হলে কাজে যেমন মনোযোগ আসতে চায় না, ঠিক তেমনি আবার অবসরও কাটতে চায় না। আর আড্ডার কথা তো বলাই বাহুল্য, আড্ডায় বসে ঠিক কত কাপ চা পান করা হয় সেটার বোধহয় হিসেব থাকে না কারোরই। শুধু বাংলাদেশ, ভারত বা চীনেই নয় বিশ্বের বহু দেশে অনেক আগে থেকেই এই পানীয়টি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কোনো সময় কি শুনেছেন চা বিক্রি করে কেউ কোটিপতি হয়েছেন? ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে কিনা তা জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর বাসিন্দা ব্রুক এডি। ২০০২ সালে সামাজিক ন্যায় আন্দোলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী। সেই সময় ব্রুক পশ্চিম ভারতের গ্রামে বেড়াতে যান। সেখানেই প্রথম তিনি চায়ের কাপে চুমুক দেন। এরপর সেখানে ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন রকমের চা তিনি ট্রাই করতে থাকেন। শুধু যে চা তাই নয়, চায়ের স্বাদের সঙ্গে চায়ের কাপের ভিন্নতাও তার নজরে আসে। এরপর ফিরে গেলেন নিজের দেশে। সেখানেও তিনি চা-পরীক্ষা পর্ব চালিয়ে যান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্যাফেতেই অনেক খুঁজেও ভারতীয় স্বাদের চা আর পাননি। আর তখনই মাথায় আসে নতুন উদ্যোগের ভাবনা। খুলে ফেলেন একটি চায়ের দোকান। নাম রাখেন ‘ভক্তি চা’। ব্রুক এডি ২০০৭ সাল থেকে নিজের তৈরি চা বিক্রি করতে শুরু করেন। তার বানানো চা তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ব্রুকের বানানো চায়ের ভক্ত এখন হাজার হাজার মানুষ। ভক্তি চায়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ‘ভক্তি-চা’ এর ব্যবসা শুরু করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। পুরো সময় দিতে থাকেন চায়ের ব্যবসায়। ১০ বছর পর বর্তমানে, ২০০ কোটির মালিক এই চা ব্যবসায়ী নারী। কলোরাডোয় তার ভক্তি চায়ের দোকানে পাওয়া যায় নানা স্বাদের চা। ব্রুকের জনপ্রিয় চায়ের তালিকায় রয়েছে চকোলেট চা এর্নাজি বাইটস।
422f0fb2-b233-4a74-bc8a-619f646d2250
লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তু নয়! লজ্জায় পাখিদের মুখও লাল হয়ে যায়। বিশেষ করে ম্যাকাও। ফ্রান্সের ‘আইএনআরএ সেন্টার ভ্যাল দ্য লয়ের’-এর গবেষকরা পাঁচটি নীল-হলুদ ম্যাকাও নিয়ে কিছুদিন ধরেই গবেষণা করছিলেন। তারা পরস্পরের মধ্যে কীভাবে আলাপ করে, তাদের ট্রেনারদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কই বা কেমন— এমন নানা প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছিলেন ফ্রান্সের গবেষকরা। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘প্লস ওয়ান’ নামক এক জার্নালে। সেখানেই বলা হয়েছে যে, আবেগের মুহূর্তে এই নীল-হলুদ ম্যাকাওদের মুখের অংশ লাল হয়ে ওঠে। ম্যাকাওদের সারা শরীরেই রঙিন পালক থাকে। শুধুমাত্র চোখের চারপাশটায় কিছুটা ত্বক দেখা যায়। আর সেখানটাই সময় সময়ে লাল হয়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, ম্যাকাওগুলোর নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতার সময়ে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মুখ লালাভ হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ট্রেনাররা যখন তাদের সঙ্গে কথা বলে, তখনও তারা লজ্জায় ‘লাল’ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, পাখিরা চুপচাপ বসে থাকলে অনেক সময়েই সারা শরীর ফুলিয়ে দেয়। এটিও তাদের এক ধরনের অভিব্যক্তি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
3b64c66a-548a-4154-835c-0b7fdf0d20cb
আপনার বাড়িকে সুরক্ষিত করার জন্য কী কী করণীয়? জানলায় মজবুত লোহার গ্রিল লাগানো, দরজায় ভাল শক্তপোক্ত তালার ব্যবহার করা, নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে বাড়ির একাধিক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো— এ সবই ভাবছেন হয়তো! কিন্তু তাতেও কিছু খামতি থেকে গেল কি? হ্যাঁ, শর্ট সার্কিটের ফলে একাধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাই বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বা তারের লাইনগুলির নিয়মিত দেখভাল করা বা প্রয়োজনে পরিবর্তনের কথা বলবেন তো! না, তাতেও কিন্তু আপনার বাড়ি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হল না। কারণ, এখনও পর্যন্ত আপনার রান্নাঘরের সুরক্ষার দিকটিই তো বলা হয়নি। রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও যে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, তা ভুলে গেলে চলবে না। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটা জরুরি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন, গ্যাসের নব বন্ধ হয়েছে কিনা, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে কোথাও ফাটা বা ছিদ্র আছে কিনা ইত্যাদি। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে কী কী করণীয়… কী কী উপায়ে এড়ানো যায় বিস্ফোরণ: • গ্যাস বন্ধ করে বেরনোর আগে দেখে নিন গ্যাসের পাইপ যেন কোনও ভাবে গরম বার্নারের গায়ে লেগে না থাকে। • সিলিন্ডার গরম হতে পারে এমন কোনও কাজ করবেন না। অনেকেই গ্যাসের লাইটার বা দেশলাই ব্যবহারের পর তা রেখে দেন সিলিন্ডারের উপরেই। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। এই দু’টি জিনিসের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখুন। দুর্ঘটনা যে কোনও সময় ঘটতে পারে। • পাইপ পরিষ্কার রাখতে অনেকেই গ্যাসের পাইপের গায়ে কোনও কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, এমন করলে পাইপ থেকে গ্যাস লিক হলেও তা ধরা পড়বে না। একই পাইপ বছরের পর বছর ব্যবহার না করে প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর তা বদলে ফালা জরুরি। • অনেকেই পাইপ পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করেন। এটা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। গ্যাসের পাইপ পরিষ্কার করতে শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। খুব নোংরা হলে হালকা করে জলে ভিজিয়ে নিন কাপড়। সেই কাপড়েই পরিষ্কার করুন গ্যাসের পাইপ। • গ্যাসের পাইপটির গায়ে বা সিলিন্ডারে ‘আইএসআই’ চিহ্ন আছে কিনা তা দেখে নিন। না থাকলে সেই সিলিন্ডার বা পাইপ অবিলম্বে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ফেরত দিন। • সেফটি ক্যাপ ব্যবহার করুন। রান্নাঘর থেকে বেরনোর পরেই সিলিন্ডারের মুখ ঢেকে রাখুন সেফটি ক্যাপে। • রান্নাঘরে ঢুকেই গ্যাসের গন্ধ পেলে তখনই বেড়িয়ে আসুন রান্নাঘর থেকে। ওই অবস্থায় কোনও সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চালু করবেন না। রান্নার গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি। ফলে গ্যাস লিক করলেও তা মেঝের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। তাই কাপড়, তোয়ালে বা হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করে গ্যাস রান্নাঘরের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝলে দ্রুত খবর দিন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার হেল্প লাইন নম্বরে।
25b3b21e-7981-4885-b1c0-55a178665068
একটা সময় ছিল যখন মোবাইল ফোন বলতেই লোকে বুঝতো নোকিয়ার হ্যান্ডসেটের কথা। সেই নোকিয়ার হ্যান্ডসেটের ব্যবসা যখন মুখ থুবড়ে পড়ল, অনেকেই ভেবেছিলেন ফিনল্যান্ডের একটি ছোট্ট শহর ওউলু-র ভবিষ্যৎও বোধহয় চিরতরে শেষ হয়ে গেল। কারণ ওই শহরে বেশির ভাগ মানুষই কাজ করতেন নোকিয়া কোম্পানিতে, নোকিয়ার ব্যবসা উঠে যাওয়ায় তারা সবাই একসঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছিলেন। খবর বিবিসির। কিন্তু হাল না ছেড়ে ওউলু আবার কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল, সেটা এক অত্যাশ্চর্য বাস্তব কাহিনী। ওউলুর বাসিন্দারা আজও সে দিনের কথা ভাবলে শিউড়ে ওঠেন। ‘ভয়ঙ্কর সময় ছিল সেটা, মানুষ রেগে গিয়েছিল – চরম লজ্জায় পড়েছিল’। একসঙ্গে শহরের প্রায় চার হাজার তিনশো লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। নোকিয়ার চিরচেনা রিংটোনের কথাও নিশ্চয় অনেকেরই মনে আছে। ২০০০ সাল নাগাদ বিশ্বের চল্লিশ শতাংশ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটই বিক্রি করত নোকিয়া। কিন্ত পরবর্তী মাত্র দশ বছরের মধ্যে তাদের সেই ব্যবসা পুরোপুরি লাটে ওঠে। আর তাতে প্রত্যন্ত ফিনিশ শহর ওউলু-র অর্থনীতিই একরকম ভেঙে পড়ে, কারণ সেই শহরের মেরুদন্ডই ছিল নোকিয়া। ‘ওউলু রিং স্লিপ ট্র্যাকারে’র পেটেরি লাহটেলা বলছিলেন, “সে সময় একটা বিরাট নিরাপত্তাহীনতা আর অনিশ্চয়তার মেঘ আমাদের ঘিরে ধরেছিল। এখন কী হবে, কীভাবে বাঁচব সেই প্রশ্নই ছিল সবার মনে।” ‘বিজনেস ফিনল্যান্ডে’র কর্মকর্তা আর্টো পাসিনেন আবার জানাচ্ছেন, “শহরের পরিবেশ তখন সত্যিই ছিল থমথমে। কিন্তু খুব শিগগিরি মানুষ আবার বুঝতে পারল, এই সঙ্কট কিন্তু একটা নতুন সম্ভাবনার সূচনাও হতে পারে।” সাব-আর্কটিক বলয়ের এই শহরটিতে তারপরই ধীরে ধীরে শুরু হল এক টেক স্টার্ট আপ বুম। মি পাসিনেন বলছিলেন, “সারা দুনিয়াতেই তখন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রতিভার অভাব ছিল। আর সেখানে হঠাৎ করে ওউলু এমন একটা শহরে পরিণত হল, যেখানে চার হাজারেরও বেশি দক্ষ কর্মী চাকরিতে নিয়োগের জন্য প্রস্তুত!” পেটেরি লাহটেলা যোগ করেন, “যারা এতদিন মোবাইল ফোন বানাতেন তারাই ধীরে ধীরে নানা ওয়্যারেবল ডিভাইস, মেডিক্যাল ডিভাইস বা গাড়ি নির্মাণ শিল্পের জন্য কাজ করা শুরু করলেন।” “আমাদের এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে হবু শিল্পোদ্যোগীদের জন্য নতুন সেন্টার চালু হল, বিভিন্ন কোম্পানি যাতে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী খুঁজে পেতে পারে সেটারও ব্যবস্থা হল।” ‘বিজনেস ফিনল্যান্ডে’র কর্মকর্তা আর্টো পাসিনেনও বলছিলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা হল, ওউলু কখনও হাল ছেড়ে দেয়নি।” “নোকিয়ার চাকরি যাওয়ার পরও তারা সক্রিয় ছিলেন, সারা দুনিয়ায় এতদিন তাদের যে সব কনট্যাক্ট গড়ে উঠেছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা বলতে শুরু করলেন, এই দ্যাখো এখানে কিন্তু বিরাট একটা দক্ষ লোকবল আছে। তা তোমরা কেন ওউলু-তে এসে রিক্রুট করছ না?” ওউলু অবশ্য নানা ধরনের সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ থেকেও উপকৃত হয়েছিল। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নোকিয়াও। নোকিয়ার এরিয়া সানকারি বলছিলেন, “আমাদের কর্মীরা যাতে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পায় সে ব্যাপারেও আমাদের একটা দায়িত্ব ছিলই।” “সে জন্য আমরা ‘ব্রিজ’ নামে নতুন একটা প্রকল্প চালু করেছিলাম, যেটা দারুণ সফল হয়েছিল। যেমন, ওউলুতেই ওই প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল প্রায় তিন-চারশো স্টার্ট-আপ।” ওউলু এখন সারা বিশ্বেই টেক ইনোভেশনের একটি বড় কেন্দ্র – অন্তত তিনটি ফাইভজি টেস্ট নেটওয়ার্ক আছে এখানে। আর্টো পাসিনেন বিশ্বাস করেন, “নোকিয়ার মুখ থুবড়ে পড়া আখেরে হয়তো ওউলু-র জন্য ভালই হয়েছে। এখন মোবাইল ফোন ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির অন্য নানা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে আছেন শহরের বাসিন্দারা, যেটা অনেক শক্ত ভিতের ওপর শহরটোকে দাঁড় করিয়েছে।” ফিনিশ ভাষায় একটা শব্দ আছে ‘সিসু’ বলে, যার অর্থ হাল না-ছাড়া, কোনও কিছুর পেছনে লেগে থাকা। ওইলুর মধ্যে সেই ‘সিসু’ ছিল বলেই কঠিন সময়েও তারা চেষ্টা চালিয়ে গেছে, সামনের দিকে তাকিয়ে আশার আলো দেখতে পেরেছিল।
f538734a-e1cd-42d7-931b-2c07fd180bbb
দক্ষিণ আফ্রিকায় আগুনে পুড়ে সহোদরসহ চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে নর্থ-ওয়েস্ট প্রদেশের ব্রিটস শহরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি দোকানে আগুন লেগে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার আনোয়ার, তার ভাই মোশারফ, মামা মমিন এবং জামালপুরের ইব্রাহীম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাতে ওই চার বাংলাদেশি দোকানেই রাত যাপন করে। ভোরে দোকানটিতে হঠাৎ আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চার বাংলাদেশি দোকানের ভেতর আটকা পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। পরে দোকানের ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো হয়। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
e5d762c3-0d03-4ca9-a59c-a44372be9505
লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল পড়া, খুশকি বা উকুন ছাড়াও চুলের বড় একটি সমস্যা হলো চুল পাতলা হয়ে যাওয়া। অনেকেই ভাবেন বয়সের সাথে প্রাকৃতিকভাবেই চুল পাতলা হচ্ছে। আসলে কিন্তু আপনার নিজেরই কিছু অভ্যাসের কারণে চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ১। বেশি বা কম শ্যাম্পু করা: মাথার তালু ও ত্বকের জন্য শ্যাম্পু করাটা জরুরী। মাথার তালু শরীরের অন্য জায়গার ত্বকের মতোই পরিষ্কার রাখা উচিত। সপ্তাহে কতবার শ্যাম্পু করবেন তা প্রত্যেকের জীবনচর্চা, ত্বকের ধরণ- এসবের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু একদিন পর পর অন্তত শ্যাম্পু করাই উচিত। নয়তো তালুতে তেল ও ময়লা জমে যায়, হতে পারে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা। এ কারণে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে খুব ঘন ঘন শ্যামপু করাটাও ঠিক নয়। যাদের চুল ইতোমধ্যেই শুষ্ক এবং ভঙ্গুর, ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে তাদের চুল পড়া বাড়তে পারে। তারা শ্যাম্পু কম করতে পারেন এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। ২। চুলের সাথে রুক্ষ্ম আচরণ: শুনে হাসি আসতে পারে। তবে যাই করুন না কেন, চুল আঁচড়ানো, শ্যাম্পু করা বা চুল শুকানো- সব সময়েই সতর্ক থাকা উচিত এবং তাড়াহুড়া বর্জন করা উচিত। এ সময়ে চুল জোরে জোরে ঘষা বা টানাটানি করা উচিত নয়। অনেকে ভাবেন রাত্রে ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়ানো স্বাস্থ্যকর। সেটাও উচিত নয়। দরকার ছাড়া চুল আঁচড়াবেন না। অনেকেই আনমনে চুল টানেন, মাথা চুলকান বা চুলের আগা আঙ্গুলে পেচাতে থাকেন। এসব কাজে চুলের ক্ষতি হয়। ৩। স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া: চুল ভালো রাখার জন্য সবচেয়ে উপকারী ডায়েট হলো মেডিটেরানিয়ান ডায়েট। অর্থাত্ আপনাকে খেতে হবে লিন প্রোটিন (যেমন মুরগীর মাংস ও মাছ), বাদাম, শাকসবজি, ফল, হোল গ্রেইন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। আপনি সঠিক খাবার না খেলে চুলে যাই মাখুন না কেন, উপকার পাবেন না। অনেকেরই চুল পাতলা হয়ে যায় আয়রনের অভাবে। সেক্ষেত্রে খাদ্যভ্যাস ঠিক করতে হবে বা আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। ৪। চুল বেশি বেশি ব্লিচ করা: চুলে রং করলে আগের থেকে ঘন দেখায়। কিন্তু চুলের রং হালকা করতে ব্লিচ করলে উল্টো সমস্যা দেখা দেয়। ব্লিচ করার পর চুল পাতলা হয়ে যায় এবং সহজেই ছিঁড়ে যায়। ৫। চুলে তাপ দেওয়া: অনেকেই চুল কার্ল করেন, বা ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করেন। এগুলো চুল ও তালু দুইয়ের জন্যই খারাপ। এছাড়া দৈনিক হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করাটাও খারাপ। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের সময়ে তাপ কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। ৬। ভুল হেয়ার ব্রাশের ব্যবহার: চিরুনি বা ব্রাশ প্রতিদিনই ব্যবহার করা হয়। তার মান ভালো না হলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। মোটা দাঁতের চরুনি বা প্লাস্টিকের হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ৭। নিয়মিত ট্রিম না করানো: চুল লম্বা করতে গিয়ে অনেকেই নিয়মিত চুল ট্রিম করান না। এতে চুল লম্বা হয় বটে কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি আট সপ্তাহ পর পর একবার চুল ট্রিম করে নেওয়া ভালো। ৮। অতিরিক্ত স্ট্রেস: স্ট্রেসে থাকলেও অনেকে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করেন না। যাদের স্ট্রেস বেশি হয়, তাদের চুলটাও পাতলা হয়ে যায়। স্ট্রেস কমাতে ব্যায়াম, ইয়োগা বা মেডিটেশন করতে পারেন। ৯। ধূমপান: ধূমপান কোনোভাবেই স্বাস্থ্যের উপকারে আসে না। তা চুলের জন্যেও ক্ষতিকর। তালুতে রক্ত সরবরাহের ক্ষতি করে ধূমপান, এ কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। ধূমপান ছেড়ে দিলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হতে পারে। ১০। চুল টাইট করে বাঁধা: পনিটেইল বা বেণী করার সময়ে অনেকে চুল খুব টাইট করে বাঁধেন। ছোটবেলা থেকে চুল টেনে বাঁধার অভ্যাসটিতে অনেকের কপাল বড় হয়ে যায় এবং চুল পাতলা হয়ে যায়। চুল পাতলা হয়ে গেলে এভাবে টেনে বাঁধার অভ্যাস বর্জন করুন এবং চুল বাঁধলেও আলগা করে বাঁধার অভ্যাস করুন। এসএস/কেআই
e5d0bce6-4348-462c-8107-cfc32d84235e
পরেশ চন্দ্র দাস: বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নারীরা উত্ত্যক্ত বা যৌন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ঘটছে এসব ঘটনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীদের যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ করেছে সিএনএন। তথ্যভিত্তিক নারীদের যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের চিত্র— এশিয়া র্যাচেল জিউকস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জনসমাগমস্থলে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন নারীরা। যেহেতু পথঘাট নারীদের জন্য নিরাপদ নয়, এ কারণে তাঁদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় অনেক পরিবার। জাতিসংঘের এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড দ্য এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেনের (ইউএন উইমেন) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনে একজন নারী তাঁদের সঙ্গীর দ্বারাই শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ইউএন উইমেন বলছে, অ্যাকশন এইডের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের ৮৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা জনসমাগমস্থলে অশালীন মন্তব্য শুনেছেন এবং পুরুষেরা যৌন হয়রানি করার সুযোগ খুঁজেছিলেন। অর্ধেকের বেশি নারী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর অর্ধেকের বেশি নারী তাঁদের সঙ্গীর দ্বারাই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে প্রতি চারজনে একজন নারী এই হয়রানির শিকার। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা হলিউডের প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে চলে আসছে। যেসব নারী ও পুরুষ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘#মি টু’ দিয়ে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করছেন। এই প্রচারণায় আরব বিশ্বের কথা সেভাবে আসেনি। লেবাননে ইনস্টিটিউট ফর উইমেনস স্টাডিজ ইন দ্য আরব ওয়ার্ল্ডের পরিচালক লিনা আবিরাফেহ বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে এসব অঞ্চলের নারীরা যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুলতে চান না। এ ক্ষেত্রে অনেকে চাকরি হারানোর ভয়ও করেন। আরব বিশ্বে কিছু পরিবার আছে, যেখানে কন্যাসন্তান বিয়ের আগে কুমারীত্ব ধরে রাখতে না পারলে তাঁদের হত্যা পর্যন্ত করা হয়। আরব বিশ্বের দেশগুলোতে অন্য দেশ থেকে আসা নারী ও গৃহকর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন। প্রতিবাদ করার মতো সাহস নেই তাঁদের। আর অভিযোগ জানালেও ভিন দেশে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনাও তাঁদের ক্ষীণ। ইউএন উইমেন বলছে, ২০১৩ সালে তাদের জরিপে অংশ নেওয়া মিসরের ৯৯ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। মিসরে অ্যাপভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা হ্যারাসম্যাপ এ নিয়ে সাতটি অঞ্চলের ওপর জরিপ চালিয়েছে। তারা বলছে, কায়রো নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ এলাকা। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৫ শতাংশের বেশি নারী কায়রোতে হয়রানির শিকার হয়েছেন। পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জর্ডানে কোনো ধর্ষক যদি ধর্ষণের শিকার নারীকে বিয়ে করেন, তাহলে তাঁর অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আরব বিশ্বের আরও আটটি দেশেও কোনো ধর্ষক যদি ধর্ষণের শিকার নারীকে বিয়ে করেন, তাহলে তাঁর অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে, বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পশ্চিম ও সাব-সাহারা আফ্রিকা আফ্রিকাতেও নারীরা হয়রানি বিশেষ করে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তানজানিয়ার ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী তাঁদের স্বামী বা সঙ্গীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর এই হার ইথিওপিয়ায় ৭১ শতাংশ। ইউএন উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ায় বাল্যবিবাহের হার ৪৩ শতাংশের বেশি। নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল পপুলেশন কমিশনের তথ্য, দেশটির ১৮ বছরের কম বয়সী প্রতি ১০ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ছয়জন শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জিম্বাবুয়ের ন্যাশনাল স্ট্যাটেসটিকস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী— *জিম্বাবুয়েতে প্রতি পাঁচজনে একজন নারীর প্রথম যৌনতা জোরপূর্বক ঘটেছে। *রুয়ান্ডা ও জিম্বাবুয়েতে প্রতি তিনজনে একজন নারী তাঁদের সঙ্গীদের দ্বারাই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অ্যাকশন এইডের ২০১৫ সালের এক জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮০ শতাংশ নারী স্বজনদের দ্বারাই নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্যান্য দেশের তুলনায় নারীদের প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের হার অনেক বেশি। সাউথ আফ্রিকান অর্গানাইজেশন রেপ ক্রাইসিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশটির পুলিশের কাছে ৫৩ হাজারেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধর্ষণের অনেক ঘটনাই প্রকাশ হয় না বলে জানিয়েছেন র্যাচেল জিউকস। এতিম শিশুদের সহায়তায় গঠিত সংস্থা সান্ড্রা জোনস সেন্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেব্বি ব্রেনকস বলেন, জিম্বাবুয়েতে চরম দারিদ্র্যের কারণে কিশোরী মেয়েদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে কিশোরী মেয়েদের বিয়েও দিয়ে দেয় অনেক পরিবার। দেশটিতে মেয়েরা যৌন নির্যাতনের দিক দিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা র্যাচেল জিউকস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে উত্তর আমেরিকায় যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের হার অনেক কম। ধর্ষণের ঘটনাও অনেক কম ঘটে। আর কানাডায় অভিসারে গিয়ে সঙ্গী দ্বারাই নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়। সেক্স অ্যাসল্ট কানাডা ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ যৌন নির্যাতনের ঘটনা নারীদের নিজের বাসাতেই ঘটে। আর অভিসারে গিয়ে সঙ্গীর দ্বারা ধর্ষণের মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ অভিযোগ যায় পুলিশের কাছে। ইউরোপ স্টপ স্ট্রিট হ্যারাসমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনে ২০১২ সালে এর আগের বছরের চেয়ে ৪০ শতাংশের বেশি নারী রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর ৩৫ শতাংশ নারী অপ্রত্যাশিতভাবে স্পর্শকাতর স্থানে অপরিচিত পুরুষের হাত দেওয়ার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন। লাতিন আমেরিকা স্টপ স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট ও সেক্স অ্যাসল্ট কানাডার তথ্য অনুযায়ী— *যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালে ৬৫ শতাংশ নারী রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। *উত্তর আমেরিকায় প্রতি চারজনে একজন নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। *যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সালে ৬৪ শতাংশ নারী জনসমাগমস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ব্রাজিলে অ্যাকশন এইডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির ৮৬ শতাংশ নারী জনসমাগমস্থলেই যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, ৮৪ শতাংশ নারী পুলিশের দ্বারাই যৌন হয়রানির শিকার। ইয়েলিজ ওসমান বলেন, দারিদ্র্য, গণপরিবহনে ভিড়, অতিরিক্ত কাজ শেষে দেরিতে বাড়ি ফেরা, শিক্ষার অভাব ও সচেতনতার অভাবের কারণেই মেক্সিকোতে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা অনেক বেশি। প্রতি ১০ জনে ৮ থেকে ৯ জন নারী এই হয়রানির শিকার হন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটেসটিকস অ্যান্ড জিওগ্রাফির এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকো শহরে ৯৬ শতাংশ নারী জনসমাগমস্থলে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। আর ৫৮ শতাংশ নারী অপ্রত্যাশিতভাবে স্পর্শকাতর স্থানে অপরিচিত পুরুষের হাত দেওয়ার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন। অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউটের এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী রাস্তায় মৌখিক বা শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হন। আর ৪০ শতাংশ নারী রাতে নিজের পাড়াতেই হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন না। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পাপুয়া নিউগিনিতে ৭৭ শতাংশ নারী বাসে যেতে বা বাসের অপেক্ষায় থেকে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। আর ফিজিতে ৬৪ শতাংশ নারী সঙ্গীদের দ্বারাই যৌন নির্যাতনের শিকার হন। র্যাচেল জিউকস বলেন, পাপুয়া নিউগিনিতে নারীরা অপরিচিত পুরুষদের হাতেই বেশি ধর্ষণের শিকার হন। দারিদ্র্য ও শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই এমন ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিকভাবে নারীদের যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের মতো ঘটনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার সময় হয়েছে।
967267e6-a353-4461-bed8-3dc5ac8f4854
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৫৫ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক। কেবলমাত্র সাংবাদিকসুলভ প্রশ্ন করায় কাউকে এরকম ক্ষিপ্ত হয়ে চরিত্রহীন বলার এখতিয়ার কারো নেই বলে উল্লেখ করেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, এটা শুধু মাসুদা ভাট্টিকে অপমান করা হয়েছে বলে নয়, বরং ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর এভাবে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ না করেন সেটা নিশ্চিত করার জন্যই অবিলম্বে তার কাছ থেকে প্রকাশ্যে একটি মার্জনা প্রার্থনা আসা প্রয়োজন। শনিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেওয়া ওই বিবৃতিতে সমর্থন দিয়েছেন: প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবীব, ইটিভির এডিটর ইন চিফ অ্যান্ড সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক ও সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এডিটর ইন চিফ শামসুর রহমান, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু বকর চৌধুরী, বিডিনিউজ২৪.কম এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদী, দ্য ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, এনার্জি এ্যান্ড পাওয়ার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, জিটিভির প্রধান নির্বাহী ও এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, এটিএন নিউজের সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রধান মুন্নী সাহা, এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ জ ই মামুন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সংযুক্ত সম্পাদক কবি অসীম সাহা, সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, শাহীন রেজা নূর, ইনাম আহমেদ। এছাড়াও রয়েছেন শওকত হোসেন মাসুম, দৈনিক প্রথম আলো, ওমর ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজে, শাবান মাহমুদ, জেনারেল সেক্রেটারী, বিএফইউজে, সালেক নাসিরুদ্দীন, এডিটরিয়াল ইনচার্জ, ভোরের কাগজ,মাহবুব কামাল, সহকারী সম্পাদক, যুগান্তর, দীল রওশন সীমু, সিনিয়র সাব এডিটর, যুগান্তর , মোঃ আশরাফ আলী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, প্রণব সাহা- সম্পাদক ডিবিসি, প্রভাষ আমিন- হেড অব নিউজ (এটিএন নিউজ), জায়েদুল আহসান পিন্টু, সম্পাদক ডিবিসি, নবনীতো চৌধুরী সম্পাদক ডিবিসি, মাসুদ কামাল, সিনিয়র নিউজ এডিটর বাংলা ভিশন, অজয় দাশগুপ্ত, সহযোগী সম্পাদক, সমকাল, সালিম সামাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি, আরএসএফ, জাহিদ হোসেন, স্পেশাল এফেয়ারস এডিটর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, দুলাল আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক জাগরণ, ইকবাল মোহাম্মদ খান, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, আমান উদ দৌলা, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক আমাদের নতুন সময়, মাহবুবুল আলম, উপ-সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, শোয়েব চৌধুরী, এশিয়ান এজ, সৈয়দ আশফাকুল হক, চীফ নিউজ এডিটর, ডেইলী স্টার, আমিনুর রশিদ, হেড অব নিউজ, চ্যানেল ৯, সুকান্ত গুপ্ত অলক, নির্বাহী সম্পাদক, দেশ টিভি, জুলফিকার রাসেল, সম্পাদক, বাংলাট্রিবিউন.কম। সাংবাদিক, কলামিস্ট ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি একাত্তর টেলিভিশনে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে একটি প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেন। এরপর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
0eac7200-1ca0-4d67-a849-255899d898e8
মহিউদ্দিন খান মোহন : তাকে বাদ দিয়েই শেষ পর্যন্ত গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অথচ তিনিই ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ‘ গত ১৩ অক্টোবর যখন বিএনপি, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম রবের জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটলো, তখন দেখা গেল সেখানে নেই সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বি. চৌধুরীর এ ছিটকে পড়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের। কেন তিনি ও তার দল জাতীয় ঐক্য থেকে বাদ পড়ল তা নিয়ে চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। কেউ বলছেন, তাকে বাদ দেয়া হয়েছে, আবার অনেকেই বলছেন, তিনি ইচ্ছে করেই সরে পড়েছেন। তবে, এটা ঠিক যে, যিনি এতদিন একটি ঐক্যের ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, তার এভাবে বাদ পড়া বা সরে যাওয়াকে সহজভাবে নিচ্ছেন না অনেকেই। এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সবচেয়ে লক্ষ্যযোগ্য ব্যাপার হলো, যে দু’টি দলকে সঙ্গে নিয়ে ডা. বি. চৌধুরী বছর খানেক আগে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠন করে এগোচ্ছিলেন, তারা তাকে ফেলে রেখেই শামিল হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। এটা যে চৌধুরী সাহেবের জন্য নিদারুন মনোকষ্টের কারণ তাতে সন্দেহ নেই। ড. কামালের গণফোরামের সঙ্গে মিলে কয়েক মাস আগে যখন বি. চৌধুরী বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেন, বিএনপি তাতে বেশ ভালোভাবেই সাড়া দেয়। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা বিএনপি বেশ কিছুদিন ধরে করে আসছিল। তারা বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যে শামিল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। তারপর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ তৎপরতা চালিয়ে আসছিল জোট গঠনের লক্ষ্যে। এ লক্ষ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোক্তা দুই প্রবীণ নেতার সাথে। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে বিএনপি সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু বিকল্প ধারার যুগ্ম-মহাসচিব ও বি. চৌধুরীপুত্র মাহী চৌধুরীর কিছু অনাকাঙ্খিত তৎপরতা সুচনাতেই আশার গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিয়েছিল। বি. চৌধুরীর বাসায় বিএনপি মহাসচিব ও বি. চৌধুরীর অনানুষ্ঠানিক বৈঠক চলাকালে মাহী ঐক্য করলে যুক্তফ্রন্টকে দেড় শ’ আসন দিতে হবে বলে দাবি করে বসেন। তার এ দাবির কথা প্রচার হওয়ার পর আলোচনা সমালেচনার ঝড় ওঠে। মাহীর দাবিকে সবাই বাস্তবতা বিবর্জিত হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘ভাঁজা মাছে ঝোল’ চাওয়ার সাথে তুলনা করেন। কেননা, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তির বিবেচনায় যুক্তফ্রন্টভ‚ক্ত দলগুলোর দেড় শ’ আসন দাবির ন্যুনতম যৌক্তিকতা নেই। তখনই কেউ কেউ বলেছিলেন, মাহীর এ দাবি বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সরে যাবার উছিলা তৈরির চেষ্টা মাত্র। পরবর্তীতে মাহী চৌধুরী আরো দাবি তোলেন যে, বিএনপিকে যদি বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় আসতে হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে আসতে হবে। তার এ দাবির পেছনে পিতা বি. চৌধুরীরও সমর্থন ছিল। এসব কারণে এক পর্যায়ে জাতীয় ঐক্য গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ তখন মন্তব্য করেছিলেন, মাহীর এসব দাবি-দাওয়া মূলত বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়াকে ভুন্ডল করার উদ্দেশ্যপ্রসূত। কেননা, তার পিতা বি. চৌধুরী এক সময় জামায়াতের সমর্থনে গঠিত বিএনপির মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন, এমন কি জামায়াতের সমর্থন নিয়ে তিনি দেশের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় শামিল হতে গিয়ে বিএনপিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, মেনে নিতে হয়েছে কিছু অবমাননাকর শর্ত। ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হয়েছিল যে,ওই প্ল্যাটফরম থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে কোনো দাবি তোলা যাবে না। এ মুহূর্তে বিএনপির যেটি প্রধান দাবি, তা উচ্চারণ না করার এ শর্তকে বিএনপির বিষ খেয়ে বিষ হজম করার শামিল বলেই অনেকে মন্তব্য করেছিলেন। অন্যদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঐক্য প্রক্রিয়ার যে সমাবেশ মহানগর নাট্য মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়, তার একদিন আগে বিএনপি মহাসচিবসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা যান বি. চৌধুরীর বাসয় তার মান ভাঙাতে। শোনা যায়, বি. চৌধুরী নাকি শর্ত দিয়েছিলেন বিএনপিকে যদি নাট্য মঞ্চের সমাবেশে অংশ নিতে হয়, তাহলে অতীতে তার সাথে দলটি যে আচরণ করেছে, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইতে হবে। শোনা যায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বি. চৌধুরীর কাছে দু:খ প্রকাশ করেন। এরপরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাকে আর পাওয়া গেল না। বি. চৌধুরী তথা বিকল্প ধারা শুরু থেকেই ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কথা বলে আসছিল। তারা বলেছে, কোনো দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে যাতে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য সংসদীয় আসন বন্টনের ক্ষেত্রে সাম্যনীতি অনুসরণ করতে হবে। এজন্যই তারা দেড় শ’ আসন দাবি করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যদি নির্বাচনে বৃহত্তর ঐক্যজোট জয়লাভ করে, তাহলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিএনপি যেন ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে। বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব হয়তো বিষয়টি বুঝতে একটু দেরি করেছেন। যখন বুঝেছেন, তখন তারা ঐক্য প্রতিষ্ঠার পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিকল্প ধারার নেতারা তা মানতে চাননি। তারা আগে আসন বন্টন চুক্তি করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এক সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপলব্ধিতে আসে যে, তারা বৃহত্তর ঐক্যজোটের নামে বিকল্প ধারার জালে অটকা পড়তে যাচ্ছেন। তখনই তারা নতুন সিদ্ধান্ত নেন। অপর দিকে বৃহত্তর ঐক্যজোট হলে এর প্রধান নেতা কে হবেন তা নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বি. চৌধুরীর স্নায়ূযুদ্ধ লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে এসে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রয়োজনে বিকল্প ধারাকে বাদ দিয়েই জাতীয় ঐক্য গঠন করা হবে। সে সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন হয়েছে ১৩ অক্টোবর। বিকল্প ধারা যে শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর ঐক্যে থেকে পিঠটান দেবে তার অলামত আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় খবরও বেরিয়েছিল। ২ অক্টোবর বাংলাদেশের খবর এক প্রতিবেদনে বলেছিল, শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য থেকে সরে যেতে পারে বিকল্প ধারা। ৫ অক্টোবর সমকাল ‘বৃহত্তর ঐক্যে গতি কম’ শিরোনামে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল, বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিকল্প ধারার আন্তরিকতা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। ১২ অক্টোবর একই পত্রিকার ‘জাতীয় ঐক্যে টানাপোড়েন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিকল্প ধারার নানান শর্ত ও চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি খুব ভালোভাবে নেয়নি ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এ কারণে ১১ অক্টোবর ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুই দফা বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েও তা বাতিল করা হয়। এ ক্ষেত্রেও বিকল্প ধারা অনীহা কাজ করেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। এদিকে ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হবার পর বি. চৌধুরী নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য রেখেছেন, তা বিএনপি নেতাকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যের নামে এককভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর ‘চক্রান্তে’র সঙ্গে নেই বিকল্প ধারা।’ তার এ বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলেন বিএনপিকে? অনেকেই মনে করছেন, ভারসাম্যের রাজনীতির কথা বলে বিএনপির কাঁধে ভর করে চাহিদামত আসন বাগিয়ে নিয়ে সরকার গঠনের সময় হয়তো তিনি অন্য কাউকে সমর্থন দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিএনপি নেতৃত্ব বি. চৌধুরীকে ছাড়াই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে সে ফাঁদে পা দেয়া থেকে বেঁচে গেল বলে মনে করছেন অনেকে। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, জাতীয় ঐক্যে শামিল না হওয়ায় বিকল্প ধারার নেতাকর্মীদের একটি অংশ তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা ইতিমধ্যে বি. চৌধুরীর কয়েকজন র্শীষ নেতাকে অব্যাহত দিয়ে দল নিয়ে তারা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। বিকল্প ধারায় এ ভাঙনের খবর সর্বত্র মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। লোকজন বলাবলি করছে যে, অতিলাভের আশায় বি. চৌধুরী শেষ বয়সে এসে পুত্রের কুপরামর্শে বেশ ভালোই একটি আছাড় খেলেন। কী করবেন তিনি এখন? তার দল বিকল্প ধারা এমনিতেই একটি ভাঙাচোরা সংগঠন, যেটির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিও নেই, জেলা-উপজেলা কমিটি তো দূরের কথা। সে দলও যদি ভাঙনের কবলে পড়ে, তাহলে তা যে প্রমত্তা পদ্মার নড়িয়ার ভাঙনের চেয়ে কোনো অংশে কম ধ্বংসাত্মক হবে না, তা বলাই বাহুল্য। অন্য দিকে যে দু’টি দলকে নিয়ে তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, তারা বিযুক্ত হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় সেটিরও আর কার্যকারিতা নেই। ফলে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত তৈরি হয়েছে দেশের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের জন্য। এখন দেখার বিষয় হলো তিনি কী করেন। নতুন কোনো উদ্যোগ নেবেন, নাকি গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে নৌকার সওয়ারি হওয়ার চেষ্টা করবেন। লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
214c0200-4c87-443e-8db3-aed139161a9a
চীনের মুল ভূখণ্ডের ঝুহাই শহরের সাথে ৫৫ কিলোমিটার বা ৩৪ মাইল দীর্ঘ এ সেতু সংযুক্ত করবে হংকং ও ম্যাকাওকে। কর্তৃপক্ষ বলছে এর ফলে আগে যেখানে এ পথ পাড়ি দিতে তিন ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হতো, সেক্ষেত্রে এখন লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। আজ ঝুহাইতে সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রকৌশলী ও স্থাপত্যের দিক থেকে দুর্দান্ত হলে সেতুটি নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর এবং একে অনেকেই ইতোমধ্যে ‘শ্বেতহস্তী’ আখ্যায়িত করছে। কারণ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার বা দু হাজার কোটি ডলার। আর নির্মাণকালীণ নিরাপত্তা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হচ্ছে চীনকে কারণ নির্মাণ কাজ চলার সময় নিহত হয়েছে ১৮জন শ্রমিক। খবর বিবিসির। সেতুটির বিশেষত্ব কী? এ সেতুটি দক্ষিণ চীনের গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় শহর হংকং, ম্যাকাও এবং ঝুহাইয়ের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করবে। শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব। সেতুটির প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নীচে টানেলে এবং এর দু অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। আর বাকী অংশ সংযোগ সড়ক, ভায়াডাক্ট আর ভূমিতে টানেল যা ঝুহাই ও হংকংকে মূল সেতুর সাথে যুক্ত করেছে। কিন্তু কেন এটি নির্মাণ করতে হলো? এটি আসলে হংকং, ম্যাকাও এবং আরও নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সাগর এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন। এর আগে ঝুহাই থেকে হংকং যেতে সময় লাগতো চার ঘণ্টার মতো। সেখানে নতুন এ সেতুর কারণে সেখানে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। এ এলাকায় এখন প্রায় ছয় কোটি আশি লাখ মানুষ বসবাস করে। কেউ চাইলেই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে ? না পারবেনা। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। এ সেতুতে কোন গণ পরিবহণ থাকবেনা তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাস থাকবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন দিনে প্রায় নয় হাজার দুশো যানবাহন এ সেতু দিয়ে চলাচল করবে। এর খরচ উঠবে তো? সংযোগ সড়ক ও কৃত্রিম দ্বীপসহ সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে দু হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধুমাত্র সেতুর মূল অংশ নির্মাণেই খরচ হয়েছে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। কর্মকর্তারা বলছে দেশটির অর্থনীতিতে এটি প্রায় ১ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে যদিও এ ব্যাখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিবিসি নিউজ চাইনিজ এর তানিয়া চান বলছেন, “যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি চলতে না দিলে এটি কিভাবে টেকসই হবে আমি নিশ্চিত নই। আমি নিশ্চিত যে নির্মাণ ব্যয় আমরা ফেরত আনতে পারবোনা”। বিবিসি চাইনিজের হিসেবে টোল থেকে বছরে আসবে মাত্র আট কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর এ সব কারণেই সমালোচকরা এর নাম দিয়েছেন “শ্বেতহস্তী”।
235190b6-bad8-42df-8b2d-04b98a07e787
বর্তমান সময়ে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ১১৯২টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে অবস্থিত। মালদ্বীপের মূল আকর্ষণ সরল, শান্ত ও মনোরম পরিবেশ ও আদিম সমুদ্র সৈকত। যেখানে পানির রং নীল আর বালির রং সাদা। বিশ্বের সবচেয়ে নিচু এ দেশটির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা মাত্র ১ দশমিক ৫ মিটার। বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হলেও বিষুবরেখার কাছে অবস্থিত হওয়ায় মালদ্বীপের মাত্র একটিই ঋতু আছে। যেখানে বছরের গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মালদ্বীপের রাজধানী মালে, রাষ্ট্রভাষা ধিবেহী, জনসংখ্যা ৩,৯৩,৫০০। মালদ্বীপের প্রধান ধর্ম ইসলাম। দেশটির মাথাপিছু আয় ৯,১২৬ ডলার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১২০০ খ্রিস্টাব্দে আবুল বারাকাত নামে একজন মরক্কান ধর্ম প্রচারক মালদ্বীপে আসেন। তার প্রভাবে দ্বীপের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইবনে বতুতা মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই মালদ্বীপ ব্রিটিশদের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। মালদ্বীপের সামুদ্রিক মাছ দেশটির অর্থনীতির মূলভিত্তি। সেখানকার মানুষের খাদ্যাভাসও মূলত মাছকেন্দ্রিক। তবে বর্তমানে দেশটির বড় শিল্প হলো পর্যটন। বৈদেশিক আয়ের ৬০ শতাংশই আসে পর্যটন থেকে। বিধাতার নিজ হাতে সাজানো এই দ্বীপদেশটি অনেকের কাছেই হানিমুনের জন্য সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। মালদ্বীপের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সহজেই এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে ঘুরে বেড়ানো যায়। একমাত্র মালদ্বীপেই বিশালাকার সাবমেরিনে করে সমুদ্রের ১২০ ফুট পর্যন্ত তলদেশে ঘুরে বেড়ানো যায়। সমুদ্রের ৬ মিটার গভীরে স্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে নির্মিত ‘ইথা আন্ডার সি রেস্টুরেন্ট’ দেশটির আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একসাথে ১২ জন অতিথি বসা যায় রেস্টুরেন্টটিতে। এখানে সবচেয়ে কম মূল্যে খাবার খেলেও গুণতে হবে ২০০ মার্কিন ডলার। আপনি চাইলে মালদ্বীপে সমুদ্রের পানির উপর বিশেষভাবে নির্মিত বাড়িতেও থাকতে পারেন। যেখানে খাটের উপর শুয়ে সমুদ্রের বিভিন্ন রঙের মাছ খুব কাছ থেকে দেখতে পারবেন, শুনতে পারবেন সামুদ্রিক পাখির ডাক। এছাড়া বিমানবন্দরের খুব কাছে ‘হলুমালে’ দ্বীপ আপনাকে বিমুগ্ধ করতে পারে। ‘ভাদহু’ দ্বীপের বালুময় সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসতে পারেন অবাক বিস্ময়ে। যেখানে দাঁড়িয়ে জীবনানন্দ দাশের সেই পঙক্তিগুলো হয়তো মনে পড়ে যাবে- “সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়! অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?”
9d834c7c-bcc6-46e6-a25e-be5449a6a842
নতুন নতুন নিয়মের জালে আটকা পড়ছেন সৌদি আরবে আবস্থানরত বাংলাদেশিরা। এ কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি অজানা আতঙ্কে ভুগছেন। যারা ব্যবসা করছেন তারাও হয়ে পড়ছেন তটস্থ। কেউ কেউ তল্পিতল্পা গুছিয়ে দেশের পথে রওনা দিয়েছেন। সৌদি আরবে থাকা বাংলাদেশিরা আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সৌদি আরবের বিশাল শ্রম বাজার হারিয়ে ফেলবে বাংলাদেশ। সৌদি আরবকে তাড়িয়ে দিতে হচ্ছে না, নিয়মের জালে আটকা পড়ে দেশের পথে রওনা দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। ইতিমধ্যে অনেকেই দিচ্ছেনও। মদিনা শহরেই বসবাস করেন বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি। ওখানে বাংলা মার্কেট নামে বাঙালি এলাকা রয়েছে। বাংলাদেশিরাই সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। খেজুর, জায়নামাজ, জুতা, তসবিহসহ নানা পণ্যের দোকানের মালিক ছিলেন বাংলাদেশিরা। কিন্তু গেল কয়েক মাসে ব্যবধানে ওই এলাকায় বাঙালি দোকানের সংখ্যা কমে এসেছে। যে কয়েকটি দোকান রয়েছে সেগুলোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাংলা মার্কেটে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা জানালেন, সৌদি আরবে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে ভিনদেশিদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোতে বাধ্যতামূলক সৌদিয়ান নাগরিকদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের আয়কর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দিগুণ থেকে তিন গুণও। এ কারণে মদিনার বাংলা মার্কেট ও আশপাশ এলাকায় হাটলেই চোখে পড়ে অধিকাংশ দোকান বন্ধ। মদিনাতে বসবাসরত সিলেটের বালাগঞ্জের আব্দুল কাদির জানালেন, মদিনাতে যারা দোকান দিতেন তারা অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন। সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মের কারণে তারা টিকতে পারছেন না বলে দেশে চলে গেছেন। এ কারণে দোকান বন্ধ থাকার দৃশ্যটি চোখে পড়ে বেশি। উহুদের ময়দান ও আশপাশ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাজ করেন অন্তত ২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে তারা পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে ওখানে কাজ করেন। ওই এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নরসিংদীর বেলাবো এলাকার আব্দুর রহমান। তিনি জানালেন, মাসে তারা ৫০০ রিয়াল বেতনে চাকরি করেন। এই টাকা বাংলাদেশের হিসেবে প্রায় ১২ হাজার টাকা। এতে তারা নিজেরাও খেয়ে বেঁচে থাকতে পারেন না। দেশে টাকা পাঠাবেন কী করে। তিনি জানান, প্রতি দুই বছর পরপর তাদের আকামা রি-এন্ট্রি করতে হয়। এতে খরচ পড়ে বাংলাদেশের হিসেবে প্রায় তিন লাখ টাকা। এই টাকা জোগাড় করা অনেক বাংলাদেশির পক্ষে সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকেই অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ধরা পড়ে দেশে চলে গেছেন। আব্দুর রহমান জানান, আগে সৌদি আরবে এই নিয়ম ছিল না। সম্প্রতি সৌদিতে থাকা বাংলাদেশিরা এই নিয়মের মধ্য পড়েছেন। মক্কার মিসফালাহ এলাকার পাশেই রয়েছে বাঙালিদের বাজার। প্রায় ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিবারপরিজন নিয়ে বসবাস করেন কক্সবাজার এলাকায় দুই ভাই আব্দুল মনাফ ও তাহির আলী। তিন প্রজন্ম ধরে তারা বসবাস করে বাসাবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নতুন নিয়মের কারণে তাদের আকামা রি-এন্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের কফিলের তরফ থেকে সম্প্রতি সময়ে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারাও পড়েছেন শঙ্কায়। বললেন, বাঙালি বাজার ও আশপাশ এলাকায় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। এখানে ব্যবসাবাণিজ্যে বাংলাদেশিদের আধিপত্য রয়েছে। কিন্তু সরকার মুখে কিছু বলছে না, আইন করে বাঙালিদের তাড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। এমন কঠিন অবস্থায় অতীতে কখনো বাংলাদেশিরা পড়েননি বলে জানান ওই দুই ভাই। তারাও যেকোনো সময় দেশের পথে রওনা দিতে পারেন বলে আশঙ্কায় রয়েছেন। মিসফালাহ এলাকার কবুতর চত্বর ও হেরেম শরীফের বাইরের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে অনেক বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা মাসে কোম্পানীর মাধ্যমে মাত্র ৫০০ রিয়াল বেতনে চাকরি করেন। কিন্তু আকামা রি-এন্ট্রি করা নিয়ে তারা আশঙ্কায় রয়েছেন। এত টাকা তাদের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কফিলও তাদের ওই টাকা দিচ্ছে না। কয়েকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী জানালেন, সৌদি আরবে এখন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবেই বাংলাদেশিদের চাকরি দেয়া হয়। অন্য কোনো পেশায় বাংলাদেশিদের তেমন আধিপত্য নেই। বাংলাদেশিদের চাকরিও দেয়া হয় না। ব্যবসাবাণিজ্য যারা করছিলেন তারা নতুন নিয়মের কারণে ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এ কারণে বাঙালি বাজারে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা দিন দিন কমেই চলেছে। পরিচ্ছনতা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলছে- সৌদি আরবে কেবল পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে ব্রান্ডিং হতে পারেন বাংলাদেশিরা। এতে করে ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। জেদ্দা এলাকায় বসবাস করেন সিলেট সদরের বাবুল মিয়া। তিনি জানালেন, ‘আকামা’ সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেও কোনো লাভ হয় না। পুলিশ প্রায় সময় আকামা নিয়ে গায়েব করে ফেলে। এরপর ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবে স্থানে স্থানে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। এই চেকপোস্টে পুলিশের রোষানলে পড়েন বাংলাদেশি শ্রমিকরাই বেশি। তার কথা প্রমাণ মিললো মক্কার হেরেম শরিফ এলাকায়। ফজরের নামাজের পরপরই বাঙালি অধ্যুষিত মিসফালাহ এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। তারা দেখে দেখে আকামা চেক করে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ হজ্ব পালনে যাওয়া বাংলাদেশিরাও পড়েন ওই চেকপোস্টে তল্লাশির মুখে। ফলে ওমরাহ পালনে যারা মক্কা যান তাদের সব সময় পাসপোর্ট ও ভিসার কাগজ সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ওমরাহ পালনে গিয়ে সঙ্গে কাগজপত্র না থাকা বেকায়দায় পড়েন। পরে হোটেল থেকে মুয়াল্লিমের মাধ্যমে কাগজপত্র এনে তাদের ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে। এমন কঠোর আইন সৌদি আরবে অন্য কারো জন্য নয়। পাকিস্তানি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার বিপুলসংখ্যক মানুষ ওমরাহ পালনে যান। তারা স্থানীয়ভাবে দেশের এম্বেসির সহযোগিতা পাওয়ার কারণে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ এম্বেসির পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানালেন জেদ্দা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা। তারা জানান, কোনো বাংলাদেশির সমস্যা হলে বারবার ধরনা দিলেও এম্বেসির কর্মকর্তাদের দেখা মিলে না। ফলে অসহায় অবস্থায় নিজেদের ঝামেলা নিজেদের মেটাতে হয়। মদিনার করিম আল হেজ্জাজ নামে বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক আবাসিক হোটেল আগে পরিচালনা করতেন বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি সময়ে ওই হোটেলে বাধ্যতামূলক চাকরি দিতে হয়েছে সৌদির কয়েকজন নাগরিককে। তারাই এখন হোটেল পরিচালনা করেন। ফলে মালিকের কর্তৃত্বও দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে। ওই হোটেলের এক কর্মচারী জানালেন, যেসব সৌদি নাগরিকদের এখানে চাকরি দেয়া হয়েছে, তাদের উচ্চ মূল্যে বেতন দিতে হচ্ছে। এভাবে চললে বেশি দিন ওই মালিকের পক্ষে হোটেল চালানো সম্ভব হবে না। একদিন হোটেল ব্যবসাও গুটিয়ে দেশের পথে রওনা দিতে হবে।
3f202344-5671-4678-ac2d-02e0a39e3c9d
হরমোন থেরাপির সাথে নতুন ধরনের ঔষধের সংমিশ্রণে চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে আরো বেশিদিন বেঁচে থাকা সম্ভব, পরীক্ষামূলক ভাবে এমনটাই দেখা গেছে। হরমোন থেরাপির সাথে প্যালবোসাইক্লিব ব্যবহার করা হয়েছে এমন আক্রান্ত নারীরা অন্তত ১০ মাস বেশি বেঁচেছে যারা কেবলমাত্র হরমোন থেরাপি পেয়েছে তাদের তুলনায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু তারা এও দেখেছেন যে, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগটি পুরোপুরি ভালো হয়না এবং সবার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরও নয়। খবর বিবিসির। প্লাসিবো নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল গবেষণায় প্যালবোসাইক্লিব প্রয়োগের সুবিধা দেখার চেষ্টা করা হয় ৫২১ জন নারীর ওপর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির চলছিল। তারা অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল অর্থাৎ তাদের টিউমারে এইচইআর-২ জিন ছিলনা। এই অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সার হল ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ অবস্থা, ক্যান্সার আক্রান্ত শতকরা অন্তত ৭০ ভাগের ক্ষেত্রেই রোগটির এই অবস্থাটি দেখা যায়। লন্ডন ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে ও রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট মিলে করা এই গবেষণায় দেখতে চাওয়া হয়েছিল, প্যালবোসাইক্লিব আক্রান্ত নারীর সামগ্রিক বেঁচে থাকায় এবং কেমোথেরাপি বিলম্বিত করায় প্রভাব ফেলে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, যেসব নারীদের টিউমার আগের হরমোন থেরাপিতে ভালো সাড়া দিয়েছিল (যার সংখ্যা ৫২১ জনের মধ্যে ৪১০জন),তাদের বেঁচে থাকার সময় ১০ মাস বেড়ে গড়ে ৩৯.৭ মাসে দাড়ায়। আর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির সাথে প্লাসিবো হিসেবে একটি করে নির্গুণ ওষুধ দেয়া হয়েছিল তাদের বেঁচে থাকা ২৯.৭ মাস। অবশ্য যাদের ক্ষেত্রে আগে হরমোন থেরাপি কার্যকর হয়নি তারা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেনি। তিন বছর পর তাদের গবেষণার জন্যে আবারো যখন বিবেচনা করা হয় তখন দেখা যায় যে প্যালবোসাইক্লিব এবং হরমোন থেরাপি উভয়ই যারা ব্যবহার করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সংখ্যাও বেশি। সেটি ৪৯.৬% যা ৪০.৮% থেকে বেশি- অর্থাৎ যাদের শুধুমাত্র ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন দেয়া হয়। এই যৌথ পদ্ধতি প্রয়োগ করা নারীদের একটি অংশের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি দেবার সময় ৯ মাস পর্যন্ত বিলম্বিত হয়।
ff0126de-4296-46e6-8db6-3b8949ee0fe2
ওয়ানডে সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়েকে আরেকবার হোয়াইটওয়াশ করলো মাশরাফি-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। এর আগে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দু’বার ও তিন ম্যাচের সিরিজে একবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়েকে চতুর্থবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা। তিন ম্যাচের এই সিরিজ জিতে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এক রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের। আইসিসির সর্বশেষ র্যাংকিং অনুযায়ী ৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ টানা তিন ম্যাচ জয়ের পুরষ্কার স্বরূপ রেটিং পয়েন্ট ৯৩তে উন্নীত হয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২৮৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। এই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা। বাংলাদেশ জিতে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের পক্ষে শতক পেয়েছেন ইমরুল কায়েস(১১৫) ও সৌম্য সরকার (১১৭)। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জার্ভিসের করা প্রথম বলেই খালি হাতে ফেরেন লিটন দাস। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন ইমরুল-সৌম্য। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৯৪ রানে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম অর্ধশতক তুলে নেন ইমরুল। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য। এরপর এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে আসে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে সৌম্য তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাত্র ৮৮ বল খরচায় ৯ চার ও চার ছক্কায় দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২২০ রানে সৌম্যের দুর্দান্ত ইনিংস থেমে যায় ব্যক্তিগত ১১৭ রানে। ৯২ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর সেঞ্চুরিতে যোগ দেন ইমরুল কায়েস। ৯৯ বলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ১১৫ রানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ইমরুল। এরপর মুশফিক-মিঠুনে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের ম্যাচের মতো এদিনও আগে ফিল্ডিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওভারেই সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৃতীয় বলেই চেফাস ঝুওয়াওকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সাইফ। বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন শূন্য রানে। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ১ উইকেটে ৬ রান। এরপর দলীয় স্কোরকার্ডে কোন রান যোগ না হতেই রনির ডেলিভারিতে ফিরলেন সফরকারীদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাসাকাদজা। শুরুতেই দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রভাব বিস্তার করেছিল টাইগাররা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন দুই নতুন ব্যাটসম্যান টেইলর ও উইলিয়ামস। দুজনেই টাইগার বোলিংয়ের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। বেশ সতর্ক ব্যাটিংয়ে গড়ে তুলেছেন ১৩২ রানের জুটি। অবশেষে দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় নাজমুল ইসলামের বলে মুশফিকের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভয়ঙ্কর টেইলর। বিদায়ের আগে ৭২ বল খেলে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৭৫ রান। এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েছেন শন উইলিয়ামস। এই জুটি জিম্বাবুয়ের ইনিংসকে ২০০ পার করে। দলীয় ২২২ রানে অপুর বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন আর বল গিয়ে জমা হয় লং-অনে থাকা ফিল্ডার সৌম্য সরকারের হাতে। ৫১ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৪০ রান করে বিদায় নেন রাজা। এরপর ধীরেসুস্থে খেলে ১২৪ বলে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শন উইলিয়ামস। এরপর পিটার মুরকে সঙ্গী করে বাংলাদেশি বোলারদের হতাশ করতে থাকেন উইলিয়ামস। দু’জনের জুটি থেকে আসে ৬২ রান। এরপর ৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট করে পিটার মুরকে ২৮ রানে ফেরান আরিফুল হক। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তুলে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট তোলেন নাজমুল হাসান অপু। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনি ১টি করে উইকেট নেন।
a1805f7b-c5d4-431c-86fd-4a2cea12676a
সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ৬০ ভাগ নারী কোটা বহাল থাকছে। জানা গেছে শিক্ষক নিয়োগ সংশোধনী বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে। ওই বিধিমালায় নারী কোটা বাহল থাকছে বলেই জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএফএম মনজুর কাদির বলেন, বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে। সচিব কমিটির অনুমোদনের পর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভাষাগত কিছু পরিবর্তনের পর তা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। পিএসসি থেকে আসার পর বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। এদিকে, সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষের জন্য স্নাতক আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হয়। কিন্তু নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে। নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারী শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালায় দেখা গেছে, সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এতদিন স্নাতক পাস হলেই আবেদন করা যেত। সংশোধনী বিধিমালায় এ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর করা হয়েছে। এতদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু এখন এ পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় পিএসসি নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর। তবে আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে শিথিলযোগ্য। বাকি ৩৫ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির পুরো দায়িত্বই থাকবে পিএসসির। বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংশোধনী বিধিমালায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি শতকরা ৩৫ ভাগ এবং সহকারী শিক্ষক থেকে শতকরা ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার বিধান ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। ফলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি পিএসসির বিবেচনাধীন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের এটিও অপরিহার্য কারণ। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএফএম মনজুর কাদির বলেন, প্রধান শিক্ষক পদটি পিএসসির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ পদে নিয়োগ-পদোন্নতি-সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে চলতি দায়িত্বে সারাদেশে ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে পদায়ন করা হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা হওয়ায় বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পদোন্নতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আওতাভুক্ত হয়ে যায়। এ কারণে সারাদেশে প্রধান শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে গত ২৩ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য স্থানে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব অস্থায়ী পদোন্নতি দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়গুলোতে পর্যায়ক্রমে চলতি দায়িত্বে ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে পদায়ন করা হয়। এ বিষয়ে মনজুর কাদির আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সারাদেশে চলতি দায়িত্বে পদায়ন হওয়া ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের স্থায়ী পদোন্নতির জন্য এ তালিকা পিএসসি সুপারিশের জন্য পাঠানো হবে। পিএসসির সুপারিশ পেলেই একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে চলতি দায়িত্বে পদায়ন হওয়া শিক্ষকদের চূড়ান্ত পদোন্নতি দেয়া হবে।
6d05a111-9471-4500-8593-a67dd4505519
স্পোটস ডেস্ক: ইনিংসের শুরুতেই তিন ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন শন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেইলর। অপরাজিত থেকে ১৪৩ বলে ১২৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন উইলিয়ামস। তাকে সঙ্গ দেন বাকি ব্যাটাররাও। ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সফরকারীরা। আরিফুলের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট মুর: ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আসা পিটার মুরের কাজ ছিল জিম্বাবুয়ের স্কোরকে তিনশ রানে পৌঁছে দেওয়া। ৪৬তম ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পরপর দুই বলে ছয় হাঁকিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েও দেন তিনি। তার সঙ্গী শন উইলিয়ামসও সেঞ্চুরি পূরণ করার পর ব্যাট করেছেন তেড়েফুঁড়ে। ৩৩ বলে এই জুটি পূরণ করেছে পঞ্চাশ রান। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকতে পারেননি দুজনে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুল হকের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হয়েছেন মুর। মুরের বিদায়ে ভেঙেছে ৪৩ বলে ৬২ রানের দারুণ একটি জুটি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ২৮ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উইলিয়ামসের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি শন উইলিয়ামস তুলে নিয়েছেন ১২২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৪৪তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১২৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকাতে ৭টি চার মেরেছেন উইলিয়ামস। ৭৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করে পরের পঞ্চাশ রান তিনি করেছেন ৫১ বলে। পুরো সিরিজ জুড়ে দারুণ ব্যাটিং শৈলী উপহার দিয়েছেন বাঁহাতি উইলিয়ামস। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ৫০ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৭ রান। ৪৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৩৮/৪। উইলিয়ামস ১০৫ ও পিটার মুর ৬ রানে উইকেটে আছেন। অপুর দ্বিতীয় শিকার রাজা ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২২২ রানের মাথায় পতন হলো জিম্বাবুয়ের চতুর্থ উইকেটের। সিকান্দার রাজাকে লং অনে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। ৫১ বলে রাজা ৪০ রান করেছেন ২ চার ও ১ ছয়ে। তার বিদায়ে ভাঙল জিম্বাবুয়ের ৯৩ বলে ৮৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। উইলিয়ামস-রাজার ব্যাটে দুইশ ছাড়াল সফরকারীরা ব্রেন্ডন টেইলরের বিদায়ের পর ফের বড় জুটি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা মিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাদের বিপরীতে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। ৩৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫৮ বলে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে গেছেন উইলিয়ামস। পরের ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়ের স্কোর দুইশ স্পর্শ করেছে। দলটির প্রথম একশ এসেছিল ঠিক ২১ ওভারে। পরের একশ রান বেশ দ্রুত তুলেছে তারা। এবারে ১৭ ওভার খেলতে হয়েছে তাদের। ৪০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৯ রান। উইকেটে আছেন উইলিয়ামস ৯০ ও রাজা ৩৩ রানে। অতিথিদের হাতে রয়েছে মূল্যবান ৭ উইকেট। ইনিংসের বাকি আরও ১০ ওভার। ফলে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল। টেইলরকে ফিরিয়ে শতরানের জুটি ভাঙলেন অপু ব্রেন্ডন টেইলর ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। শন উইলিয়ামসও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাকে। ফলে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বারবার বোলার পরিবর্তন করেও পাচ্ছিলেন না সাফল্য। অবশেষে এই জুটি ভেঙে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। ২৭তম ওভারের চতুর্থ বলটি স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন টেইলর। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে অনেক উঁচুতে উঠে যায়। সুযোগ হাতছাড়া করেননি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। নির্ভরতার সঙ্গে ক্যাচ লুফেছেন। আগের ম্যাচে ৭৩ বলে ৭৫ রান করেছিলেন টেইলর। এ ম্যাচে একই রান করেছেন এক বল কম খেলে। মেরেছেন ৮ চার ও ৩ ছয়। তার বিদায়ে ভাঙল জিম্বাবুয়ের ১৪৫ বলে ১৩২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। দলীয় ১৩৮ রানে সফরকারীদের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের সংগ্রহ ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৭ রান। উইলিয়ামস ৫৫ ও ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা সিকান্দার রাজা ৬ রানে ব্যাট করছেন। টেইলরের পর উইলিয়ামসের ফিফটি ২৫তম ওভারের প্রথম বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন শন উইলিয়ামস। সিরিজে ধারাবাহিকভাবে রানের মধ্যেই আছেন এই বাঁহাতি তারকা ব্যাটসম্যান। প্রথম ওয়ানডেতেও ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। ৭৩ বলে চারটি চার হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৯ রান। টেইলর ৬৮ ও উইলিয়ামস ৫০ রানে উইকেটে আছেন। জিম্বাবুয়ের স্কোর পেরুল একশ ১৪.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ রান। আর ২১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় একশ রান পূরণ করেছে তারা। চাপ কাটিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। শুরুতে উইলিয়ামসের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে তাকে পেছনে ফেলেছেন টেইলর। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেইলরের দশম হাফসেঞ্চুরি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর। ২০তম ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজার তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে চলতি সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেছেন তিনি। ৫ চারের সঙ্গে ২ ছয় মেরে ৪৯ বলে টেইলর স্পর্শ করেছেন ফিফটি। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন শন উইলিয়ামস। প্রথম ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৫ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বাজে পরিস্থিতি পড়ে যাওয়া দলটি ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ১০ ওভারে হতাশ করেছে বাংলাদেশের বোলারদের। কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা যোগ করেছে ৫৮ রান। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করেছেন টেইলর ও উইলিয়ামস। ২০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৩ রান। টেইলর ৫৪ ও উইলিয়ামস ৩২ রানে ব্যাটিং করছেন। টেইলর-উইলিয়ামস জুটিতে পঞ্চাশ দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর পাল্টা প্রতিরোধের কাজটা দারুণভাবে শুরু করেছেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস। ৭৪ বলে এই জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। অভিষিক্ত আরিফুল হকের করা পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে চার মেরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ রান পূরণ করেছেন টেইলর। আগের ম্যাচেও উইলিয়ামসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭৭ রান যোগ করেছিলেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৯ রান। টেইলর ২৬ ও উইলিয়ামস ২৭ রানে উইকেটে আছেন। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫ রান অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে চড়ে ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৭। পরের ৫ ওভারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে দলটি সংগ্রহ করেছে ২৮ রান। প্রথম ওভারে লেগ বাই থেকে চার হওয়ার পর ব্যাট থেকে প্রথম বাউন্ডারি পেতে জিম্বাবুয়েকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। পাওয়ার প্লেতে দুই ব্যাটার মিলে মেরেছেন চারটি চার। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২ উইকেটে ৩৫ রান।। টেইলর ১৪ ও উইলিয়ামস ১৫ রানে ব্যাট করছেন। শুরুতেই সাইফ-রনির জোড়া আঘাত বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং আক্রমণের সূচনা করেছেন আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দুজন তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারের উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসেই তৃতীয় বলে চেফাস ঝুওয়াওয়ের অফ স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়েছেন সাইফ। ৩ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ঝুওয়াও। ফলে দলীয় ৬ রানে পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেটের। পরের ওভারে দলটির স্কোর পরিবর্তন হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তার উইকেটটি শিকার করেছেন রনি। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রনির ডেলিভারিটি ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়া জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব এবার অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের কাঁধে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭ রান। টেইলর ০ ও উইলিয়ামস ১ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ৫ ওভারের ৩ ওভারই মেডেন নিয়েছেন সাইফ-রনি। আরিফুলের অভিষেক, একাদশে ফিরলেন সৌম্য-রনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্কোয়াডে থাকা বাকি ক্রিকেটারদের পরখ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বহু প্রতীক্ষিত ওয়ানডে অভিষেকের স্বাদ পাচ্ছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক। ১৩০তম ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন আরিফুল। তার সঙ্গে একাদশে ফিরেছেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও বাঁহাতি পেস বোলার আবু হায়দার রনি। এই তিনজনকে জায়গা করে দিতে গিয়ে একাদশ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি, স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। জিম্বাবুয়ের একাদশেও পরিবর্তন এসেছে দুটি। ব্রান্ডন মাভুতা ও টেন্ডাই চাতারার পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন রিচার্ড এনগারাভা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি। জিম্বাবুয়ে একাদশ : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, চেফাস ঝুওয়াও, এলটন চিগুম্বুরা, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড তিরিপানো, রিচার্ড এনগারাভা, কাইল জার্ভিস, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ টানা তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে পাওয়া জয়ের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই কি না তিনি ফের বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে শুরুতে নামতে হয়েছে ব্যাটিংয়ে। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচটি শুরু হয় ২টা ৩০ মিনিট থেকে। আগের দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে মাশরাফিবাহিনী। জিম্বাবুয়েকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছেন তারা।
0d266545-c3d7-4909-ac3f-3b4b0b090869
দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের প্রধান হতে বাধা নেই’ -মর্মে বিএনপি যে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছিলো তা গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে এই রুল নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে,গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বিলুপ্ত করায় রাজধানীর কাফরুলের বিএনপিকর্মী মোজাম্মেল হোসেন সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী। তিনি জানান, এই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ (বুধবার) এ আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে একমাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বলা হয়েছে, দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন। কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। সেই সঙ্গে তার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয় ১০ বছর করে কারাদণ্ড। ফলে দলের শীর্ষ দুই নেতার পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু সেই বিপদ এড়াতে রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। যদিও সেখানে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে এসব সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। আট পৃষ্ঠার ওই সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে দলীয় চেয়ারপারসন ও কাউন্সিল অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে খালেদা জিয়া ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লিখেন, “উপরোক্ত সংশোধনীগুলো কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হলে কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করে। একই সঙ্গে কাউন্সিলের গৃহীত সংশোধনী অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদগুলোর ক্রমিকের অনিবার্য পরিবর্তন, ভাষা ও ছাপার ভুলগুলো সংশোধন করার প্রস্তাবও কাউন্সিলের অনুমোদিত হয়।”
4b97a1c1-6d46-430e-87ef-1026898a8407
ডা. মো. জামাল উদ্দিন: অন্ন বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য গ্রহণ করতে হয়, তেমনি সুস্থ জীবনধারণের জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা ব্যবস্থার। এই চিকিৎসাসেবায় যারা জড়িত তাদের দেবদূতও বলা হয়। মহান পেশা চিকিৎসা সেবা। এই পেশায় বাংলাদেশের প্রতিটি শহর ও গ্রামগঞ্জের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় প্রায় ১০ লক্ষেরও অধিক পল্লী চিকিৎসক ও পল্লী দন্ত চিকিৎসকগণ নিয়োজিত আছেন। তারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত বিরাতে রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়ে বিরাট জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করেছেন কেননা একটি স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ জাতি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃত। এই অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাংলাদেশ সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গ্রহণ করেছে। গত দুই দশকে এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রজনন হার ও মৃত্যু হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নবজাত শিশু ও মাতৃ-মৃত্যু হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার আধুনিকায়নে ও প্রসারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন ও নতুন অবকাঠামো স্থাপন অব্যাহত রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা ও সরকারি সম্পদের দিকে লক্ষ্য রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি ও মান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে- দেশের সকল মানুষের বিশেষ করে নারী, শিশু ও দরিদ্র জনসাধারণের জন্য যথাযথ মানসম্পন্ন মৌলিক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা। দেশের মোট জনসংখ্যার জন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসক রয়েছেন ষাট হাজারের মতো। এদের সিংহভাগ থাকেন শহরে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উপজেলা প্রতি চার থেকে পাঁচ লাখ লোকের জন্য চিকিৎসক আছেন সর্বোচ্চ দশ জন। এদের এই শূন্যতা পূরণ করে আসছে গ্রাম ডাক্তার, পল্লী চিকিৎসক ও পল্লী দন্ত চিকিৎসকরা। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। এই গ্রামাঞ্চলে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার নেই বললেই চলে, ফলে গ্রাম পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবার জন্যে পল্লী চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। পল্লী চিকিৎসক বা গ্রাম ডাক্তারগণ গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। যথা- (১) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বাড়ির দোড়গোড়ায় অত্যাবশ্যকীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। (২) গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে পল্লী চিকিৎসকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। (৩) স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমেও পল্লী চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। (৪) প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যসেবা, টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা, সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ, যক্ষা রোগ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা, অপুষ্টিজনিত রোগের চিকিৎসা, যৌনবাহিত রোগের চিকিৎসা, এইচআইভি/এইডস সনাক্তকরণ, সকল প্রকার সাধারণ রোগের চিকিৎসা প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে পল্লী চিকিৎসকগণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। (৫) আমাদের দেশে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, সেক্ষেত্রে বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ের চিকিৎসা ব্যবস্থায় পল্লী চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। (৬) দ্রুততম সময়ের মধ্যে তৃণমূল জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পল্লী চিকিৎসকগণ ভূমিকা রাখতে পারে। পল্লী চিকিৎসকদের ন্যূনতম এসএসসি পাশ ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো উচিত। এতে পল্লী চিকিৎসকদের মর্যাদা বাড়বে এবং মানুষের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিগণও পল্লী চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন, তাদেরকেও প্রয়োজনীয় এবং যথোপযুক্তমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। চিকিৎসা পেশা অন্যান্য পেশার তুলনায় স্পর্শকাতর এবং শারীরিক ও মানসিক কষ্ট বা অসুস্থতা তথা জীবন-মৃত্যুর সমস্যার সঙ্গে জড়িত হওয়ায় ন্যূনতম শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছাড়া এই পেশায় নিয়োজিত হওয়া উচিত না। এই বিষয়ে সরকার আগ্রহী ও উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে পল্লী চিকিৎসক তৈরীর মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির তালিকায় স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ছিল (১১.১)। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পূর্বতন আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-২০০১) প্রণীত জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি পুনর্মূল্যায়ন করে যুগের চাহিদা অনুযায়ী নবায়ন করা হবে। এই নীতির আলোকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, পুষ্টি, শিশু ও মাতৃমঙ্গল নিশ্চিত করা হবে। জনসংখ্যানীতি যুগোপযোগী করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান সরকার এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে এই কার্যক্রম চালু করেছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা যায়। তবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক পুরোপুরি চালু করা প্রয়োজন কারণ দেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পল্লী চিকিৎসক, পল্লী দন্ত চিকিৎসক ও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা ব্যাপক। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট নেতিবাচক চিত্র বিদ্যমান। একদিকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্পদ ও সামর্থের সীমাবদ্ধতা অন্যদিকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানা ধরণের অনিয়মের কারণে সেবা গ্রহীতারা অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি জনসাধারণের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী। মানুষ সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল হতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবার সকল স্তর থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হবে। দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই খাতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের অবসান করতে হবে। বর্তমান বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের মানবিক হতে হবে। সকলকে স্ব-স্বক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি দীর্ঘ ২৭ বছর ধওে গ্রামীণ জনপদের অবহেলিত, চিকিৎসাসুবিধা বঞ্চিতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে সাধারণত চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা গ্রহণ ও জীবিকা নির্বাহে চিকিৎসকদের কর্মপন্থা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রূপ হয়ে থাকে। কিন্তু পল্লী চিকিৎসক ও পল্লী দন্ত চিকিৎসকগণ বরাবরই অবহেলিত, চিকিৎসা সেবা বঞ্চিতদের সেবা দিয়ে আসছেন। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে পল্লী দন্ত চিকিৎসক ও পল্লী চিকিৎসকদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে মতবিনিময় করার সুযোগ আমার হয়েছে। মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারের স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের ফলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাচ্ছে জনগণ এবং সকল জনগোষ্ঠী ও শহরের নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবার সমান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের এই কর্মসূচি সফল করতে এবং পরিকল্পিত আধুনিক ডিজিটাল স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নে পেশাজীবী চিকিৎসকদের পাশাপাশি ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডক্টর, পল্লী চিকিৎসক, পল্লী দন্ত চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে পল্লী চিকিৎসকদের ও ডিপ্লোমা ডেন্টালদের পেশার মান উন্নয়নে প্যারামেডিকেল বোর্ড গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সাধারণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা ও দায়িত্বশীল অবদান রাখায় পল্লী দন্ত চিকিৎসকদের ও পল্লী চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়। ধারণা মতে, চিকিৎসাসেবার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি সুস্থ সবল জনগোষ্ঠীই শুধু দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ জন্যে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, রোগ প্রতিরোধমূলক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা। সে লক্ষ্যে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার ও সংশ্লিষ্টগণ আরো সচেষ্ট হবেন বলে আশা করছি। লেখক: প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসক, সভাপতি, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশন
01193b96-b5cb-4ff6-989e-9c2e870d6d20
স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের ফাইনালে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ভারত বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে। ঘড়ির কাটায় তখন ৯২ মিনিট। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ভারত। এমন সময় যে ঘটনা ঘটল, তাতেই প্রাণ ফিরে পেল বাংলাদেশ। নিজেদের ডি-বক্সে ভারতীয় ডিফেন্ডার ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। তা থেকে দারুণ এক গোল করে সমতা ফেরান আশিকুর রহমান। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাতীয় দল খুব বেশি ভােলা করতে না পারলেও সফল বয়সভিত্তিক দলগুলো। কিশোরীদের পাশাপাশি সাফল্য বয়ে আনছে কিশোর ফুটবলাররাও। তবে বিশেষ করে সাফ অঞ্চলে এই সাফল্য চোখে পড়ার মতো। মৌসুমী, মারিয়া, সানজিদারা সাফে একের পর ট্রফি জিতেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোর ফুটবলের ফাইনালে উঠার কৃতিত্ব দেখিয়েছে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বাবুর শিষ্যরা। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচের ১৭ মিনিটে হার্শ শৈলাসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। এরপর জয়ের পথেই ছিল লাল-সবুজরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান নিহাত জামান উচ্ছ্বাস। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে দুটি স্পট-কিক ঠেকিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান।
eadeec5c-2a44-40aa-9ca6-12b95cfa211d
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাশেমুরবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক সম্মান, প্রথম বর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (২ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা। এছাড়া ৩, ৯ ও ১০ নভেম্বর বাকি ইউনিটের পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ গোপালগঞ্জ শহরের ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শেখ হাসিনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোপালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, হাজী লাল মিয়া সিটি কলেজ, গোপালগঞ্জ মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা, গোপালগঞ্জ এস কে আলিয়া মাদ্রাসা, যুগশিখা হাই স্কুল, বীণাপাণি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি: ২ নভেম্বর ২০১৮: ‘ডি’ ইউনিট সকাল ১০টা থেকে ১১টা, ‘ই’ ইউনিট বেলা ৩টা -৪টা। ৩ নভেম্বর ২০১৮: ‘এফ’ ইউনিট সকাল ১০টা থেকে ১১টা, ‘জি’ ইউনিট বেলা ৩টা থেকে ৪টা। ৯ নভেম্বর ২০১৮: ‘সি’ ইউনিট সকাল ১০টা থেকে ১১টা, ‘এইচ’ ইউনিট বিকাল ৩টা থেকে-৪টা। ১০ নভেম্বর ২০১৮: ‘আই’ ইউনিট সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা, ‘বি’ ইউনিট দুপুর ১টা থেকে ২টা এবং ‘এ’ ইউনিট বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা ও আসন বিন্যাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে জানা যাবে।
0fc3d084-fdfe-447c-a248-3fc11eb39955
কক্সবাজারের টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকালে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীর খুরের মুখ এলাকায় সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। এই সময় পুলিশের চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকায় সুলতান আহমদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার তোফায়েল আহমদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল মহিউদ্দিন, কনস্টেবল মেহেদি হাসান, কনস্টেবল আবদুস শুক্কুর। তারা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, ‘শুক্রবার ভোরে টেকনাফে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে থাকায় মাদক ও মানব পাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’ ওসি আরও জানান, ‘ঘটনাস্থল থেকে ৩টি বন্দুক, ৩০ রাউন্ড গুলি ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
53b5a9e7-0d92-49a9-8770-2103ab83321b
বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের পর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেজ চলটি মৌসুমেও নিজের সেই ছন্দ কিছুটা হলেও ধরে রেখেছেন। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে হ্যাট্রিক করে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির অভাবটা একাই পূরণ করেছেন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। অথচ, সেই সুয়ারেজেরই বিকল্প খুঁজে পেতে মরিয়া বার্সা। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর একের পর এক নৈপুণ্য দেখিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন ফুটবলে ব্যাডবয় খ্যাত এই ফুটবলার। জানুয়ারিতেই ৩২’শে পা দেবেন তিনি। চলটি মৌসুমে শুরুর সেই ছন্দটা যে একটু হলেও ভাটা পড়েছে তা সুয়ারেজ নিজেও বুঝতে পারছেন। এল ক্লাসিকো ছাড়া ১৩ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন মাত্র ৪ টি গোল! যা তার নামের সঙ্গে একে বারেই বেমানান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুয়ারেজ নিজেই তার বর্তমান পারফরমেন্স নিয়ে অখুশির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, বার্সা আরেকজন স্ট্রাইকার খুঁজলে তিনি মোটেও অবাক হবেন না। উরুগুয়ের এক রেডিও কে বলেন, ‘সত্যি এটাই বার্সেলোনা একজন নতুন নম্বর নাইন খুঁজছে, আর সেটাই স্বাভাবিক।’ এদিকে প্রভাবশালী দৈনিক মার্কা’র দাবি, জেনোয়ায় খেলা স্ট্রাইকার ক্রিজিসটফ পিয়াটেককে পরীক্ষা করতে চায় বার্সা। ইতালিয়ান লিগে চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন পিয়াটেক। ট্রান্সফার ফি কিংবা পারিশ্রমিক নিয়ে তার সঙ্গে খুব একটা ঝামেলা হবে না বলে মনে করছে কাতালান ক্লাবটি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লিভারপুল থেকে ৬৫ পাউন্ডের বিনিময়ে বার্সায় নাম লেখান সুয়ারেজ। হয়ে ওঠেন বার্সার গোল মেশিন। বার্সার হয়ে এখনো পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন ২১২ ম্যাচ, গোল করেছেন ১৫৯টি। আগামী মৌসুমে হইতো বার্সার হয়ে সুয়ারেজকে আর দেখা যাবে না! তাতে অবশ্য দুঃখ নেই তার। বার্সার হয়ে খেলাটা বেশ উপভোগ করেছেন তিনি। বিকল্প হিসেবে বার্সাকে সাহায্য করতে পারবে এমন একজনের জন্য স্থান ছেড়ে দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত সুয়ারেজ।
232f149e-fc9e-480d-9ebb-4ef7779547f8
গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠেয় সংলাপে অসন্তুষ্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি আদায়ের বিষয়টি মাঠেই ফয়সালা করতে চায়। এ লক্ষ্যে আগামী ৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জোট জনসভা করতে যাচ্ছে। সেখান থেকেই দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখার পাশাপাশি কৌশল হিসেবে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আলোচনার পথও খোলা রাখবেন তারা। নতুন এ জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সংলাপের পর শুক্রবার রাতে ড. কামাল হোসেনের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, গণভবনের আলোচনা থেকে তারা তেমন কিছুই পাননি। পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। ফের সংলাপে বসলেও তেমন কিছু পাওয়া যাবে না। এ অবস্থায় তারা মনে করেন আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। মাঠে নেমেই দাবি আদায় করতে হবে। কাজেই মাঠে নামার ওপরই তারা গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনা করেন। এদিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ফের ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠকে বসবেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করার পাশাপাশি আগামী ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে। এর বাইরে আর কি কি কর্মসূচি দেয়া যায়- তা চূড়ান্ত হতে পারে। সভা-সমাবেশ ছাড়াও নতুন করে লংমার্চ-রোডমার্চ, মানববন্ধন, গণঅনশন, গণসংযোগ প্রভৃতি কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছেন তারা। শুক্রবার গণফোরাম আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় দলটির নেতারা বলেছেন, মাঠেই তারা দাবি আদায়ের বিষয় ফয়সালা করবেন। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার মধ্য দিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মোচন হলেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা আমাদের কথা বলেছি। তিনি শুনেছেন। অনেক কথা বলেছেন। দু-একটি বিষয় ছাড়া দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আলোচনার পথ খোলা রাখব। পাশাপাশি দাবি আদায়ে রাজপথে নামব, জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করব।’ বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এবং নাগরিক ঐক্যকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন। জোট গঠনের দিন তারা সাত দফা দাবি এবং ১১ লক্ষ ঘোষণা করেন। এসব দাবির মধ্যে আছে- সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না বলে তারা দাবি করেন। দাবিগুলো আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে নেতারা জানিয়েছেন। তারা বলেন, এর সঙ্গে যোগ হবে নতুন কর্মসূচি। দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। জোট গঠনের পর সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গত মাসের শেষদিকে চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। এতে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে দু’পক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। কিন্তু সেখান থেকে তেমন কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। গণভবন থেকে বেরিয়ে ওই রাতেই তারা ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠক করেন। এ সময় দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার বলেন, ‘আন্দোলনই এখন দাবি আদায়ে আমাদের একমাত্র ভরসা। আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’ জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, ‘আমাদের কিছু দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। বাকি দাবিও তাদের মানতে হবে। দাবি আদায়ে আমরা এবার চূড়ান্ত আন্দোলনে নামব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তা মানব না। সরকার চাইলে যা খুশি করবে- তা হতে দেয়া হবে না।’ জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আশাহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদ না ভাঙার বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেন। যে সরকার আছে সেই সরকারই বহাল থাকবে- এটাও প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন। এ অবস্থায় ফ্রন্ট নেতারা ভাবছেন আন্দোলনই এখন একমাত্র ভরসা। সেভাবেই তারা তৈরি হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ এবং সরকার বহাল রেখে নির্বাচন হলে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের কি লাভ হবে? ফলাফল তো আগে থেকেই তৈরি করা থাকবে।’ আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘দাবি আদায় করতে হলে এখন আন্দোলনে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সূত্র জানায়, সংলাপে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাত দফা উত্থাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর এ নিয়ে একে একে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রত্যেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সায় দেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারটি আদালতের বিষয়। এখানে তার হাত নেই। সংলাপে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবিও জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবেও সায় দেননি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, সংলাপে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাইরে ১৪ দলীয় জোটের শরিক তিন দলের তিন নেতার বক্তব্য ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সারা দেশে খুনখারাবি নিয়ে কথা বলেছেন। উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়েছেন জাসদের অপর অংশের কার্যনির্বাহী সভাপতি মাঈন উদ্দীন খান বাদল। কথা বলেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও। তিনি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আপনি এখন বিএনপিকে উদ্ধারে নেমেছেন। এটা দুঃখজনক।’ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সংলাপে দুটি বিষয় উত্থাপন করেন। একটি হচ্ছে, যে সংলাপ শুরু হয়েছে, পরিস্থিতি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা চালু রাখা। দ্বিতীয়ত, সংলাপ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করা। দুটোর একটিও আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় সংলাপ শেষে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু তার কথায় তারা কোনো বিশেষ সমাধান পাননি। জোটের আরেক শীর্ষ নেতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এই সংলাপে সন্তুষ্ট নই।’ এর জবাবে অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন, ‘আরও আলোচনার জন্য দুয়ার খোলা রয়েছে।’ কিন্তু শাসক দলের নেতাদের কথায় আর আস্থা রাখতে নারাজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তারা আলোচনার পথ খোলা রাখার পাশাপাশি দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে চান।-যুগান্তর
766b6614-ab1e-4890-a429-3cf663363658
স্পোর্টস ডেস্ক : ট্রফি জয় করে দেশে ফেরার সময় এখনই। পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে দেশবাসীকে গর্বিত করার জন্য আমরা জীবন দিয়ে দেব’- ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন এমন প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত সেই মেহেদীর অসাধারণ নৈপুণ্যে পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুটি সেভ করার পর আজ পাকিদের তিনটি শর্ট সেভ করেন মেহেদী। শনিবার নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতায় শেষ হয় খেলা। এরপর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলের জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে পাকিস্তান রক্ষণদূর্গকে কাঁপিয়ে তোলে বাংলাদেশ। তবে সফলতা পেয়ে অপেক্ষা করতে হয় ২৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের ডি-বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে নিজেদেরই জালে বল জড়ান পাকিস্তানি খেলোয়াড়। আত্মঘাতি গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে হেলাল আহমেদ প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তাতে স্পট কিক থেকে সমতায় ফিরে পাকিস্তান। তবে টাইব্রেকারে পাকিদের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নেয় বাংলারযুবারা। শিরোপার সঙ্গে ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতাও (৪টি) হয়েছেন বাংলাদেশের নিহাদ।
670e79c3-027e-489b-9235-4b16531b16e8
এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের সর্বত্র বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত গোপালগঞ্জের তিনটি আসন বরাবরই আওয়ামীলীগের দখলে। এখানে চলছে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের সভা, সমাবেশ ও মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি। ভোটারদের মনে ঠাঁই করে নিতে যারা নতুন মুখ তারাও যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি, চাইছেন দোয়া-আশীর্বাদ। সেই সাথে সংগঠিত করছেন স্থানীয় ও দলীয় নেতাকর্মীদের। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ও চায়ের দোকানগুলোও সরব হয়ে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনায়। পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ড ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন নিজ নিজ প্রার্থিতার খবর। প্রার্থীরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য ঢাকা থেকে ছুটে আসছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। করছেন গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ। এছাড়াও বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সভা-সমিতি, উঠান-বৈঠকসহ নানাবিধ রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দরজায় দরজায়। গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় তিনটি আসন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের এ তিনটি আসনে সবসময়ই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে বিএনপি বা জাতীয় পার্টি কখনও গোপালগঞ্জবাসীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসনামলে এ এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন মূলক কাজগুলোও তারা বন্ধ করে রেখে ছিলেন। এ জন্য আওয়ামীলীগের বাইরে যিনিই এখানে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন প্রায় সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জের মানুষ সব সময়ই মুজিব পাগল। ভোটের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে নৌকা ছাড়া অন্য কোন কিছু তারা চেনে না বা চিনতেও চায় না। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর ভোটের যে ব্যবধান তাতেই প্রমাণিত হয়েছে এখানে আওয়ামীলীগের কোনও বিকল্প নেই। এ কারণে বিএনপি বা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা। তাছাড়া ওয়ান-ইলেভেনের পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় গোপালগঞ্জসহ দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা দেখে বিএনপি-জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন আওয়ামীলীগে। এছাড়াও এবার গোপালগঞ্জে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সোয়া লাখ। তাই এবার আগের চেয়েও বেশি ভোটের ব্যবধানে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হবে। গোপালগঞ্জ-১ : মুকসুদপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে এবার ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৮১১ এবং মহিলা ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৬ জন। এ আসনে রয়েছেন তিনবারের নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান। ৯৬ সালে প্রথম তিনি এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনোনীত হন এবং লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এরপর থেকে প্রতিবারেই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে তিনি জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি এবারও এ আসনে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যায়। তবে শোনা যাচ্ছে, এ আসনে এবার আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ভাগ্নে ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব। এ আসনের ২৩টি ইউনিয়ন ও মুকসুদপুর পৌরসভায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ করে ইতোমধ্যে প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছেন এ আসনেরই তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর রশিদের বড় ছেলে আলহাজ কাজী হারুন অর রশীদ মিরন। তিনি একজন সফটওয়্যার প্রোগ্রামার এনালিস্ট। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে আইটি কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়াও নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমান। এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুকুল বোসও। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সহ-সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সাবেক বিএমএ নেতা ডা: শারফুদ্দিন আহম্মেদ ও বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহামুদসহ অনেকেই এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে যিনিই এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেন, তিনিই বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন এটা নিশ্চিত। গোপালগঞ্জের এ আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম। যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির বেশ কয়েকজন বড় নেতাকে টপকিয়ে এ আসনে থেকে মনোনয়ন পান। বিভিন্ন প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে তরুণ নেতা হিসেবে তিনি তার প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দিয়েছেন। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে বিএনপির সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীরের নাম। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার মাঠে রয়েছেন ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নবরাজ পত্রিকার নিউজ এডিটর অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। এর আগেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন। জাতীয় পার্টি থেকে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, কাশিয়ানী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আব্দুল মান্নান মুন্নু ও দীপা মজুমদারের নাম। দীপা মজুমদার গেল নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) প্রার্থী হিসেবে মুকসুদপুর উপজেলা জাসদ (ইনু) সভাপতি আজম শরীফের নাম শোনা যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ-২ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কাশিয়ানীর ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে এবারে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ নয় হাজার ৮৩৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২ এবং মহিলা এক লাখ ৫৫ হাজার ১৬১ জন। এখানে রয়েছেন টানা সাত বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ৮০ সালে উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে। অদ্যাবধি তিনিই এ আসনের অভিভাবক হয়ে রয়েছেন। স্নেহ, মমতা আর ভালবাসা দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার দূরদর্শিতা ও দক্ষতার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে এলাকার মানুষও তার নামে পাগল। এ কারণে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে এলাকার সর্বত্র। গোপালগঞ্জের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূল কারণই হল সংখ্যালঘুদের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালবাসা। স্বাধীনতা উত্তর উন্নয়ন-বঞ্চিত গোপালগঞ্জকে ঢেলে সাজাতে তিনি অনবদ্য চেষ্টা করেছেন। তার উন্নয়নমুখী পদক্ষেপে গোপালগঞ্জ শহরসহ গোটা এলাকার জীবনযাত্রার মান আকর্ষণীয় ও উন্নত হয়েছে। এ আসনে তার কোনও বিকল্প নেই। তাই এ আসন থেকে এবারেও আওয়ামী লীগ তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে সবাই শত ভাগ নিশ্চিত। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে। বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে চারদলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। দু’বারই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এবারও এ আসনে তারই বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা যায়। এছাড়া জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিনু এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও এলাকার অল্প কিছু সংখ্যক বিএনপির নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তারাও বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত এবং হতাশাগ্রস্থ। জাতীয় পার্টি থেকে পার্টির প্রেসিডিয়াম-সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা এবং পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব শেখ আলমগীর হোসেনও এ আসনে প্রার্থিতা চাইবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এছাড়া শোনা যাচ্ছে জাসদ (ইনু) গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মাসুদুর রহমানের নামও। গোপালগঞ্জ-৩ : টুঙ্গীপাড়ার ৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা এবং কোটালীপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ আসন-৩। এ আসনটিতে এবারে ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৪৬ হাজার ১৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৬ এবং মহিলা ১ লাখ ২১ হাজার ১০৯ জন। এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এখানকার মানুষ তাকে এ পর্যন্ত ছয়বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করেছে। প্রতিবারই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এ আসন থেকে তিনি প্রথম সংসদ নির্বাচিত হন ৮৬ সালের নির্বাচনে। এরপর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তার কোনও বিকল্প নেই। এ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম জিলানী। এখানে অন্য কোনও দলের শক্ত প্রার্থী নেই। তবে টুঙ্গীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিক্ষক এস এম আফজাল হোসেন এবং কোটালিপাড়া উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি অরুন চন্দ্র সাহা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের এ তিনটি আসনে যারা প্রার্থিতার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন তারাও ভালো করে জানেন এখানকার সাধারণ জনগণের মণিকোঠায় রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আর সে অনুভূতি থেকেই তারা ভোট-ব্যালটে নৌকা ছাড়া অন্য কোনও মার্কা খোঁজেন না। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা প্রায় শেষের পথে এবং জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। ৩১ অক্টোবর থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করবে। গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। দল যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করব। জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানিয়েছেন, চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দল নির্বাচনে যাবে কিনা আগে দলীয় ফোরামে সেই সিদ্ধান্ত হতে হবে। দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করব।
4a8da6a9-52be-49e6-bea6-e6e36663ef2b
অনিবার্য কারণে আগামীকাল রোববার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এটি আগামী শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার সকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) শুরু হয় এ বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এবার সারাদেশে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশে নিচ্ছে। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে মোট ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জেএসসিতে ২৯ হাজার ৬৭৭টি বিদ্যালয়ের মোট ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ এবং জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ এবং জেডিসির ৩৪ হাজার ২৫১ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সারাদেশে মোট ২ হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতবছর কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৩৪টি। সেই হিসাবে এবার ৬৯টি কেন্দ্র বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও এবার দেশের বাইরে ৯টি কেন্দ্রে ৫৭৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
e1f9a094-ccaa-4f49-b037-2b274489fb37
অ্যামি জ্যাকসনের পর ফের এক বলিউড অভিনেত্রীর গোপন মুহূর্তের ছবি ফাঁস। আর এই ঘটনা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলিউড জুড়ে। দক্ষিণী সুপারস্টার তথা রাজনৈতিক নেতা কামাল হাসানের কন্যা অক্ষরার এই ঘটনায় ফের উস্কে গেল সাইবার ক্রামইম নিয়ে আতঙ্ক। কামাল হাসানের কন্য়া তথা শ্রুতি হাসানের বোন অক্ষরার বেশ কয়েকটি গোপন মুহূর্তের ছবি ফাঁস হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্ষরার এই ছবি আসতেই তা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে ভাইরাল হয় ছবি। কীভাবে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জাগছে সন্দেহ। এর আগে , বহুবার বহু অভিনেত্রীর বহু গোপন মুহূর্তের ছবি ফাঁস হয়েছে বলিউডে। এর আগে, বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা থেকে অ্য়ামি জ্য়াকসন সহ একাধিক অভিনেত্রীর এই ধরনের ছবি প্রকাশ্যে আসে।
0d94f1b7-0979-4f98-8a40-58ee75a497cf
বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী মৌসুমী। ঢাকাই সিনেমা তিনি মাতিয়ে রেখেছেন সৌন্দর্য আর অভিনয়ে। আজ ৩ নভেম্বর তার জন্মদিন। সকাল বেলায় জানিয়েছিলেন কাছের মানুষ ও ভক্তদের সারপ্রাইজ দেবেন তিনি। তখন থেকেই আলোচনা ছিল কী সেই সারপ্রাইজ। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন নতুন সিনেমার ঘোষণা আসতে পারে। কেউ কেউ ভাবছিলেন হয়তো পরিচালনার ঘোষণাও দিতে পারেন মৌসুমী। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরাতে নিজের রেস্তোরাঁ ‘মেরি মন্টানা’তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যে ঘোষণা দিলেন তাতে বেশ অবাক সবাই। নায়িকা মৌসুমীকে এখন থেকে সাংবাদিক মৌসুমীও বলা যাবে। তিনি একটি নিউজ পোর্টালের ঘোষণা দিলেন। নাম ‘ইয়েসনিউজবিডিডটকম’। এখানে কেবলমাত্র শোবিজের খবর পাওয়া যাবে। সাংবাদিকদের সম্মানার্থে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মৌসুমী বলেন, ‘এতদিন আমি একপাশে বসতাম আর আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা অন্যপাশে বসতেন। এখন আমরা একসঙ্গে বসবো। আমি একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। এর চিফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করবেন অভি মঈনুদ্দিন। মৌসুমী আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতার প্রতি অনেক আগে থেকেই আগ্রহ ছিল। পেশাজীবনে অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে মিশেছি। সেই জন্য এই পেশার প্রতি ভালো লাগা আরও বেশি। আশা করি অভিনয়ের মতো সাংবাদিক ক্যারিয়ারেও সবাইকে পাশে পাবো। মৌসুমীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী বলেন, ‘মৌসুমীর সঙ্গে পরিচয় হবার পর থেকেই দেখেছি সাংবাদিকতা নিয়ে ওর অনেক আগ্রহ। অবশেষে সে নিজেও সাংবাদিক হয়ে গেল। আমি খুব আনন্দিত। ওকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অভিনন্দন। আমি ওকে অনেক তথ্য দেব। আপনারাও দেবেন। আমরা আমাদের ছেলে ফারদিন স্বাধীনকে মিস করছি। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাবনূর, অমিত হাসান, চঞ্চল মাহমুদসহ নানা সংবাদ মাধ্যমের চলচ্চিত্র সাংবাদিকগণ। অনুষ্ঠানে নায়িকা মৌসুমী একটি ইউটিউব চ্যানেলেরও ঘোষণা দেন। ইয়েস ম্যাক্স নামের চ্যানেলটি অনলাইনে পাওয়া যাবে।
64bb1a50-45f1-428f-9f82-4a05e3e8519e
বহুল কাঙ্ক্ষিত কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। এই স্বীকৃতি প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করায় তারা প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা আদায় করেন। এ সময় আলেমরা প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধীতে ভূষিত করেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে ‘শুকরিয়া মাহফিল’ শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। সভাপতিত্ব করছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। শুকরিয়া মাহফিলের বক্তৃতায় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন ইসলামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধী দেন। নড়াইলের একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আলেম সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশেরও প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা কামনা করেন। এর আগে মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও সুলতান যওক নদভীও তাদের বক্তৃতায় কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুকরিয়া মাহফিলের বক্তৃতায় আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা দেয়ার আবেদন জানান। এছাড়া এখন পর্যন্ত আলেমদের মধ্যে কেউ স্বাধীনতা পদক পাননি, আল্লামা শফীকে আগামীতে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানান তিনি। ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে আল্লামা শফীর নেতৃত্বে শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়ের মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত বিলটি সংসদে পাস হয়। এর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। কওমি আলেমরা মনে করেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি একক চেষ্টায় দেশের পিছিয়ে পড়া বড় একটি জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য কওমি মাদ্রাসাসংশ্লিষ্টরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আর এর প্রতিদান হিসেবেই তাকে সংবর্ধিত করতে চান আলেমরা। তবে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা নিতে বিব্রত বোধ করায় তার পরামর্শে আলেমরা এর নাম দিয়েছেন ‘শুকরানা মাহফিল’।
a8f77f6e-059a-45e4-bd13-2759051a59a2
বিনোদন ডেস্ক: দিন কয়েক পরেই বিয়ে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের। তার কিছুদিন পরেই গাঁটছড়া বাঁধবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বলিউডের অনেকেই। আর শাহরুখ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাহরুখ জানান ‘সবাই বিয়ে করছে, এটা ভাল। কিন্তু তাতে আমার কী করার আছে? বেগানি শাদি মে আবদুল্লা দিওয়ানা। ওরা বিয়ে করছে। ওরা আনন্দ করবে। ওরা বাচ্চার জন্ম দেবে। তাতে আমি কী করব? আমার যা করার ছিল, আমি তা আগেই করে ফেলেছি। আমার কি বারবার বিয়ে করা উচিত?’
93ab2626-6e31-4163-84b2-382ac34171c8
প্রবাস ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চেহারা বদলে গেছে। ইতোমধ্যে এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। আর সেবা কার্যক্রমে বিদেশিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে হাইকমিশন। বাংলাদেশের শ্রমবাজারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়েছে দেশটি। মালয়েশিয়ায় প্রায় ৮ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস। নানা প্রয়োজনে তাদের যোগাযোগ করতে হয় বাংলাদেশ দূতাবাসে। হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় কর্মকর্তারা প্রবাসীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল। এদিকে, শ্রমিক বান্ধব দূতাবাস মালয়েশিয়ার পারটুবুহান পেঙ্গুসাহা বুঙ্গান বুঙ্গানান (অ্যাসোসিয়েশন) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের বাইরে এই প্রথম সেবাদানে বিদেশিদের সম্মান কুড়িয়েছে। পাহাং, দারুল মাকমুর মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট লি পেংফো বলেন, দূতাবাসের সব কর্মকর্তার আন্তরিকতার কারণেই ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সহজেই পাসপোর্ট করতে পারছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেবাপ্রত্যাশী প্রবাসীরাও। হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীদের নিয়েই আমার কাজ। দূতাবাস সব সময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। সারাবিশ্বে পরিশ্রমী জাতি হিসেবে বাংলাদেশিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। সাধারণ শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশ্য হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি সবার ওপরই কিছু না কিছু দায়িত্ব বর্তায়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আর মালয়েশিয়ায় কর্মরত অন্যান্য দেশের নাগরিকের তুলনায় এ দেশের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে। দূতাবাসে ডিজিটালাইজড পদ্ধতি ভিসা চালু হওয়ায় মালয়েশিয়ান নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপক। গড়ে প্রতিদিন ১শ থেকে দেড়’শ ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানান কন্স্যুলার শাখার প্রথম সচিব মো. মাসুদ হোসেইন। সূত্র জানায়, দেশটিতে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশিদের দুর্ঘটনা, মৃত্যু ও ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণসহ বকেয়া পাওনা আদায়ে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলামের দক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতায় মিশনের সক্রিয় আইনি সহায়তায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৫ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। গত আড়াই বছরে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অবৈধ বিদেশিদের বৈধতার প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে আড়াই লাখ কর্মী ভিসা পেয়েছেন। বাকিরা ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। গত দেড় বছরে জি-টু-জি-প্লাসে এসেছেন দুই লাখের মত কর্মী। আরও ৭০ হাজার কর্মী আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি ও মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আমরা মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গন্তব্য। সে বিষয়টি মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। প্রশ্নের জবাবে মো. রাজিবুল আহসান বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের সম্ভাবনাময় বাজার। মালয়েশিয়ান আসিয়ান বাণিজ্য অঞ্চলের একটি করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি পণ্যে ও রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার, অ্যাসোসিয়েটেড চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, মালয় চেম্বার অব কমার্স, ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচার্স, মালয়েশিয়া রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশন কুয়ালালামপুর, পারদাসামা, কুয়ালালামপুর সেলেঙ্গর ইন্ডিয়ান চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, জহুরবারু চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব জহুর মালয়েশিয়া, সারওয়াক চেম্বার অব কমার্স, পেনাং চেম্বার অব কমার্স, কুচিং চাইনিজ জেনারেল চেম্বার অব কমার্স, ফেডারেশন অব সাবা ইন্ডাস্ট্রিজ, কোটা কিনাবালু চাইনিজ চেম্বারসহ প্রায় সব জাতীয় ও প্রাদেশিক চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সার্বিক সহযোগিতা দিতে সম্মত হন মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ী নেতারা। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিগগিরই ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ হলো ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১০ সালে ছিল ১১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেন কমার্শিয়াল উইং প্রধান মো. রাজিবুল আহসান। তিনি বলেন, ২০০৯-১০ সময়ের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে মাত্র ৮ বছরের ব্যবধানে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের রফতানি চারগুণ বেড়ে ২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জালান আম্পাং বেছারে খোলা হয়েছে পাসপোর্ট আবেদন, তথ্যসেবা, বিনা পয়সায় আবেদন ফর্ম পূরণসহ তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে চালু রয়েছে হটলাইন ও ওয়ানস্টট সার্ভিস। সরেজমিনে জানা গেছে, যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা রি-ইস্যু পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সঙ্গে তার ভিসার ফটোকপি সংযুক্ত করে যে ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে সে ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে। সাধারণ শ্রমিক এবং স্টুডেন্টের ব্যাংক ড্রাফ্ট ১১৬ রিঙ্গিত এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ভিসা ফটোকপি। আর যারা প্রফেশনাল ভিসায় অথবা ট্যুরিস্ট ভিসায় দেশটিতে অবস্থান করছেন তাদের ৩৮৫ রিঙ্গিতের ব্যাংক ড্রাফ্ট করে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া যাদের পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে তাদের জন্য থানায় রিপোর্ট করে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এদিকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (নতুন) রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। দূতাবাসের জালান সুলতান ইয়াহিয়া পেট্রায় জন্ম নিবন্ধন, পরিচয়পত্র, প্রত্যয়ন, এলওআই, পারিবারিক সনদপত্র সত্যায়ন, আমমোক্তারনামা, ট্রাভেল পারমিট, মরদেহ সংক্রান্ত কেস আবেদনগ্রহণ, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আইনগত সহায়তা এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক ভিসা সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিতরণ সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বিকেল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়ন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ এবং বিতরণ একই দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান (প্রথম সচিব) মশিউর রহমান শুক্রবার এ প্রতিবেদককে বলেন, হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় আমরা প্রবাসী/শ্রমিকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার জহুর বারু, পেনাং, মালাক্কা, সারওয়াক, ক্যামেরুন হাইলেন্ডসহ দূরের প্রদেশগুলোতে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন ও ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে এবং বন্ধের দিন প্রতি মাসের শনি ও রোববার পাসপোর্ট সেবা দেয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট করতে এবং পাসপোর্ট পেতে অসুবিধা না হয়। মশিউর রহমান বলেন, আগে যেখানে পাসপোর্ট সংক্রান্ত অথবা অন্য সমস্যা সমাধানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল নিতে হতো সেখানে এখন দেয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিক সেবা। গড়ে প্রতিদিন ১২শর অধিক সেবা প্রত্যাশীদের পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। পাসপোর্ট সেবার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে ২ লাখ ৭৪৩৪টি পাসপোর্ট আবেদনের বিপরিতে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩১টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। তন্মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৬৬টি পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। নাম ও বয়স জটিলতায় অনেকে পাসপোর্ট পাচ্ছে না প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান বলেন, যদি কেউ নাম ও বয়স গোপন রেখে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তারাই সমস্যায় পড়ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পূর্বের পাসপোর্টে নাম এবং বয়সের সঙ্গে নতুন আবেদনের সঙ্গে মিল থাকে না। ডিজিটাল পাসপোর্টে প্রথমে যে নাম এবং বয়স থাকবে সে অনুপাতেই পাসপোর্ট হবে। ঘষা-মাঝার কোন সিস্টেমই নেই। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন পাসপোর্ট করতে আসা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা যেকোনো প্রয়োজনে সহজেই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি এবং খুব দ্রুত সেবা পাচ্ছি। আগে চাইলেই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব ছিল না। এখন পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যাপারে সহজেই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। আমরা আরো উন্নত দূতাবাসের আশা প্রকাশ করেন মনোয়র।’ প্রবাসী মামুন আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, হাই কমিশনের বর্তমান সেবা পদ্ধতি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ পদ্ধতি অব্যাহত থাকায় দালদের দৌরাত্ম কমে এসেছে। তবে এখনও যারা দালালদের প্ররোচণায় হেনস্তা হচ্ছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।-জাগো নিউজ
cabb2436-1b39-47d2-a94c-c1b4cb84768f
রাজ্জাক মাহমুদ রাজ, কুষ্টিয়া : রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।তিনটি কেন্দ্রে এই ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অনুষদ ভবনের একটি কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে। পরীক্ষা শুরুর ৮ মিনিট পর আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গাড়িতে এসে ওই কক্ষে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেন। তবে কোন কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সিনিয়র শিক্ষক অনুষদ ভবনের পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও ২০ মিনিট বিলম্বে প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যায়।তবে পরীক্ষার শুরুতে এ ত্রুটিটি বাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া আজ আরও তিন শিফটে অনুষ্ঠিত হবে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এবং আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এদিকে দিনের দ্বিতীয় শিফটের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও একটি কেন্দ্রের ৬টি কক্ষে প্রশ্ন কম পড়েছে বলে জানা গেছে। মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৪১, ৩১৬, ৩১৭, ৩৪২, ৩৪৭ এবং ২০৫নং কক্ষে প্রশ্নপত্র কম পড়ে। প্রায় ১০ মিনিট পরে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রহমান প্রশ্নপত্র এনে বন্টন করেন ভর্তিচ্ছুদের মাঝে। পরে ওই ভর্তিচ্ছুদের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী জাগো নিউজকে বলেন, প্রশ্নপত্র কম পড়েছে এরকম কোনো বিষয় আমি অবগত নই। তবে আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছি। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশসেরা মেধাবিদের ভর্তি করা হবে এখানে।সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের মাইকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। প্রধান ফটকে বসানো হয়েছে ৪টি সার্চওয়ে গেট। কেন্দ্র এলাকায় পরীক্ষা চলাকলিন জরুরি অবস্থা চালু করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ব্যাতীত কোনো ব্যাগ বহন করতে পারবে না। এজন্য প্রধান ফটকের দুই পাশে চারটি বুথ তৈরি করেছে প্রশাসন। যার পরিচালনায় থাকবে বিএনসিসি ও রোভার স্ক্উাটের সদস্যরা।এছড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ আইডি কার্ড বহন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগত প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রশিদুজ্জামান বলেন,উৎসবমুখর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা।র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্য ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা।
69ad7b6a-7835-48e2-a067-0ec9bd7a6050
মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হওয়ার পর অবধি এটির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে নানা রকম উদ্বেগও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের শরীরের উপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা ঠিক কতটা জানি? নিয়মিত মোবাইল ফোনের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষতির বিষয়টি নানাভাবে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে মস্তিষ্কে ক্যানসার, নার্ভের ক্ষতি, এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ব্যবহারের সম্পর্ক রয়েছে বলে নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে। তবে, এসব শারীরিক ক্ষতির পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার মানে এই নয় যে, মোবাইল ফোন ব্যবহার নিরাপদ। রেডিয়েশন কী করে? মোবাইল ফোন সংক্রান্ত শারীরিক ঝুঁকির বিষয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন মোবাইল থেকে ছড়িয়ে পড়া রেডিয়েশনের বিষয়টি অনেকে সামনে টেনে আনেন। অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে, মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। এই রেডিয়েশন আসলে কতটা ক্ষতিকর? সুইস গবেষক মার্টিন ব়্যুসলির মনে করেন, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। বরং মোবাইল থেকে বিচ্ছুরিত রেডিয়েশনকে টিভি এবং রেডিও থেকে বিচ্ছুরিত রেডিয়েশনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “এ ধরনের রেডিয়েশন থেকে সরাসরি কোন ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এটা অসম্ভব।” তাহলে কি উদ্বেগের কোনো কারণ নেই? মোবাইলের রেডিয়েশন ক্যান্সার বা টিউমার ঘটায় না বলার অর্থ এই নয় যে, সেটি একেবারেই মস্তিষ্কের কোনো ক্ষতি করে না। অতীতে এক গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন আমাদের ব্রেনওয়েভে পরিবর্তন আনতে পারে। নতুন এক গবেষণা, যেটির সহলেখক ব়্যুসলি, বলছে তরুণ প্রজন্মের স্মৃতিশক্তির উপর মোবাইলের বিরুপ প্রভাব রয়েছে। সুইস গবেষকরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি ৭০০ কিশোর-তরুণের উপর বছরখানেক ধরে গবেষণা করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন তাদের মস্তিষ্কের বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। গবেষণাতে অবশ্য আরো একটি মজার বিষয় বেরিয়ে এসেছে। যারা মোবাইল ফোন ডানকানে রেখে কথা বলেন, তাদের উপর এই ক্ষতির মাত্রা বাম কানে মোবাইল রেখে কথা বলাদের চেয়ে বেশি। এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে, মানুষের মস্কিষ্কের স্মৃতি সম্পর্কিত অংশ ডানদিকে অবস্থিত। ফলে বামদিকে মোবাইল রেখে কিংবা হেডফোন বা লাউডস্পিকার ব্যবহার করে কথা বললে এই ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব
f85e420a-988e-4996-bc87-2a70d8d05e8f
শেখ এ কে আজাদ, সাভার থেকে : সোমবার ধামরাই বিভিন্ন এলাকা ৮ ভুয়া ডিবি পুলিশকে ধামরাই থানা পুলিশ আটক করে। এসময় ভুয়া ডিবি পুলিশের কাছ থেকে ডিবির পোশাক , ১টি ওয়াকিটকি , ১ জোরা হ্যান্ডক্যাপ , ১ টি খেলনা পিস্তল নগদ চার হাজার সাত’শ টাকা, দুটি মাইক্রোবাসহ একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। আটক হওয়া ৮ ভুয়া ডিবি পুলিশ বরগুনা জেলার সদর থানার মৃত্য নাসির উদ্দিনের ছেলে জসিম মিয়া (৩২), কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামাড়া থানার মৃত্য তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৭), সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার জামাল উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার মৃত্য মন্টু শেখ এর ছেলে আলমগীর শেখ ৩৫), পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার মৃত্য আজিজ মোহাম্মদ এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ঝালকাটি জেলার নলসিটি থানার সোবাহান খান এর ছেলে মাসুম খাঁন (৩৬), জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার ফুরকাদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৬), ও কুমিল্লা জেলা দেবীদ্বার থানার মৃত কাজিমুদ্দিন এর ছেলে মোস্তাফা মিয়া (৪৪)। এবিষয়ে সোমবার দুপুরে ধামরাই থানায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাঈদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান ভোর রাতে ধামরাই ও আশুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা বিভিন্ন স্থানে ও মহাসড়কে মানুষকে ভয়ভিতি দেখিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে ধামরাইর কেলিয়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে হাত পা ও মুখ বেধে ৩ লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা লুটপাট করে । আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাদিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার থেকে বিপুল পরিমান বিদেশী মাদকসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে সকালে ছিনতাইকৃত মাইক্রোবাসসহ মিজান নামে এক যুবককে গ্রেফতার পুলিশ । তার কাছ থেকে বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করা হয় । এই ঘটনায় আশুলিয়ার থানার অফিসার্স ইনচার্জ রেজাউল হক দিপু জানান, মাদক আইনে মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে ।
c363c4a6-03e5-4182-ac86-5e19438691c2
শামসুজ্জোহা বাবু, গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রন্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতারের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য অালহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগেরর সভাপতি বদিউজ্জামান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পৌর যুবলীগ সভাপতি আকবর আলী,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। ৪ হাজার ৪১০ জন কৃষকের মাঝে রবি ও খরিপ মৌসুমে গম, ভূট্টা, সরিষা, বিটি বেগুন, তিল ও মুগ চাষে প্রণোদনা আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ হয়। এছাড়া রবি ও খারিপ ১ মৌসুমে সরকার গোদাগাড়ী উপজেলার ৪ হাজার ৪১০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ২০ কেজি ডিএসপি, ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করেন। এছাড়াও ২১২ জন কৃষককে ১কেজি করে সরিষার বীজ, ১১৮০ জন কৃষককে ২ কেজি ভূট্টা বীজ, ৯২০ জন কৃষককে ২০ কেজি গম বীজ, ১২০ জন কৃষককে ৫ কেজি মুগবীজ, ৬০ জন কৃষককে ১ কেজি তিল ও ৫ জন কৃষককে বিটি বেগুন ২০ গ্রাম করে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
64addcce-7067-41a4-9d00-2eb2ff251a31
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে শিশুসহ দুই জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, রবিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সাড়োরা গ্রামের ফজের প্রমানিকের ছেলে মোক্তার হোসেন (৪৫) গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। পরে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর দিকে একই উপজেলার মহেলা গ্রামের রিয়া খাতুন (১১) নামে এক শিশু গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, ভাঙ্গুড়ার কাকিলাদহ গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে রিয়া চাটমোহর মহেলা গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
e82f20d2-1f89-416f-8895-1ab22f87326a
বিনোদন ডেস্ক : দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীরের সিংয়ের বিয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে । এই পাওয়ার কাপলের বিয়ে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা প্রকাশ্যে আসছে। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে বিয়ের পর কোথায় থাকতে চলেছেন দীপিকা ও রণবীর? দীপিকা রণবীরের স্বপ্নসুন্দর বাড়ির ঠিকানা মুম্বইয়ের প্রভাদেবী অ্যাপার্টমেন্ট। বহুদিন ধরে খোঁজ খবর নিয়ে , বহু ভাবনা চিন্তা করে দীপিকা ও রণবীর বাড়ির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে । উল্লেখ্য, এই বাড়িটিতে এতদিন একা থাকতেন দীপিকা পাড়ুকোন। এবার প্রভাদেবী অ্যাপার্টমেন্টের সেই ২৬ তলার ফ্লোরে গিয়ে উঠতে চলেছেন রণবীর সিং। বিয়ের পর দীপিকার বাড়িতে থাকতে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দীপিকার এই বাড়ির দাম ১৬ কোটি টাকা। আর এই বাড়িতেই দীপিকার সঙ্গে ‘আপাতত’ বিয়ের পর থাকবেন রণবীর সিং। সাধারণত , বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন স্ত্রীরা। তবে রণবীর-দীপিকার বিয়েতে বিষয়টি খানিকটা আলাদা। বিয়ের পর কয়েকদিনের জন্য দীপিকার বাড়িতে থাকবেন রণবীর।
f2eb6ca9-486f-4396-afa8-4f36d321f1d1
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। গতকাল রোববার এ মামলার রায়ের তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ১৬ আগস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এই দুইজনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগে ওই বছরের ১৮ মে এই দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট এবং কৃষ্ণপুরে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করেন। দুই ও তিন নম্বর অভিযোগ হচ্ছে একই এলাকার চন্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছে তারা। অভিযোগ চার হচ্ছে অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকাণ্ড চালান তারা। অভিযোগ পাঁচে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে অপহরণ এবং রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ ও হত্যা করেছেন তারা। অভিযোগ ছয় ও সাত হচ্ছে- অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যার অভিযোগ।
ef90dc4d-d95d-4348-b2bf-004522803a75
বিনোদন ডেস্ক : বহুদিন ধরেই একে ওপরের সিনেমাতে অথিতিশিল্পী রূপে ছোট্ট ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। দুজনেই উপস্থিত হয়েছে পরস্পরের ছোটপর্দার শো-তেও। তবে এবার গোটা সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে চলেছেন শাহরুখ খান ও সালমান খান। সঞ্জয় লীলা বনশালির পরবর্তী ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে শাহরুখ-সালমান জুটিকে। কান পাতলেই এমনটাই শোনা যাচ্ছে টিনসেল টাউনে। এর আগে বহুবার এই জুটি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে এক ছবিতে কাজ করতে ভীষণভাবে আগ্রহী। সূত্রের খবর, দুই নায়ককে কেন্দ্র করে তৈরী হতে চলা এই ছবির জন্য শাহরুখ-সালমানকে রাজি করিয়ে ফেলেছেন পরিচালক। বনশালি ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের খবর, শাহরুখ-সালমান দুজনেরই ছবির গল্প পছন্দ হয়েছে। তাঁরা ভীষণভাবে উন্মুখ এই ছবিতে কাজ করার জন্য।যদিও ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ এখনও চলছে। সেই সূত্র আরো জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়েই শুরু হবে এই ছবির শ্যুটিং।
677742b2-4143-4f8e-899f-ca4402a07c01
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতির উদ্দেশ্যে সিইসি কে এম নুরুল হুদার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে প্রচারিত হবে। ভাষণের আগে আগামীকাল সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন সভায় তফসিলের বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হবে। এর পর বেলা ৩টার দিকে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে। উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়ে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে।
90f008b6-5bfc-4188-a497-593fcd660e0b
সংলাপের মাধ্যমে আমরা দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি আদায় করতে চায়। এমন অবস্থায় কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে দায় ভার সরকারের। কারণ বল এখন সরকারের কোর্টে।’ বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। আজকের সংলাপে আমরা ৭ দফা দাবি নিয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছি জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে যেসব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে আর কোনো গায়েবি হয়রানিমূলক মামলা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাত দফা আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাল রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ হবে এবং পরের দিন রাজশাহীতে জনসভা হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের কাছে গেছি, সরকার বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখবে। যদি না মানে তাহলে আমাদের কর্মসূচি দেওয়া আছে আমরা সেভাবেই আন্দোলন করব।’ মহাসচিব বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ হবে এবং পরেরদিন রাজশাহীতে জনসভা হবে।’ তফসিল ঘোষণার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার বিষয়েও আমাদের কর্মসূচি দেওয়া আছে। আমরা নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করব। বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার যদি জনগণের এই দাবি না মানে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যাব এবং আমাদের দাবি আদায় করব।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুরসহ আরও অনেকে। এর আগে গণভবনে সংলাপ শেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ ড. কামাল হোসেনের বাসায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বেলা সোয়া ৩টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ১৪ দলের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফা এ সংলাপে অাওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ১১ জন এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ জন সংলাপে প্রতিনিধিত্ব করেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মাহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলে যে ১১ জন ছিলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, স ম রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।
93802bc8-8a35-4863-8ec9-68a23e83be2b
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন। এই ভাষণ একযোগে প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ফিড নিয়ে প্রচার করতে পারবে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা এর আগেও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাল (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করা হবে।’ প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়েছে ইসি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
bd1bbfed-5278-4f65-8d11-733143f97f34
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি জানাতে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভাষণ দেবেন তিনি। তার ওই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। এর আগে সকাল ১১টায় কমিশন সভা বসবে। ওই সভাতেই অনুমোদন করা হবে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা সিইসির ভাষণের খসড়া। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির কক্ষে তার ভাষণ রেকর্ড করবে সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম দুটি। জানা গেছে, জাতির উদ্দেশে দিতে যাওয়া সিইসির ভাষণ ১০ থেকে ১২ মিনিট দীর্ঘ হতে পারে। ভাষণে সিইসি কে এম নূরুল হুদা সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহবান জানাবেন বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের দৃঢ়তা প্রকাশ করবেন। এক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিকদল, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংবাদমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাইবেন। পাশাপাশি রিটার্নিং, সহকারি রিটার্নিং ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেবেন। দায়িত্বে ব্যর্থতা, গাফলতি ও শৈথিল্য প্রদর্শন করলে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি থাকবে সিইসির ভাষণে। সিইসির তার ভাষণে বর্তমান কমিশনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরতে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি উল্লেখ করবেন। নির্বাচনি আইন-কানুন এবং আচরণবিধিমালা সংশোধনে তার কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাবেন।নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েন, সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়েও উঠে আসবে সিইসির ভাষণে। এছাড়া দ্রুত তফসিল ঘোষণার কারণও তিনি ভাষণে তুলে ধরতে পারেন বলে জানা গেছে।
5ecde67b-fbaf-436a-a0d3-3516d679066c
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে স্থাপিত আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শুনানিকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করতে বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবিরের আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে খালেদা জিয়া বলেন, ‘নাইকো চুক্তি করেছিলো শেখ হাসিনার সরকার। আমরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সেই চুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছি।’ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। কাজেই তাঁকেও এখানে হাজির করুন। তাকে এই আদালতে হাজির করা উচিত। একজনকে সেভ করবেন আরেকজনকে বলি দিবেন এটাতো হয় না।’ ‘আদালতে যদি আমি আসি, তা হলে উনাকেও (শেখ হাসিনা) আসতে হবে। কারণ উনি যেই প্রক্রিয়াটা শুরু করেছিলেন, সেটি আমি অব্যাহত রেখেছি।’ এ সময় বিচারক মাহমুদুল কবির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলার আসামি নন। কাজেই তাঁকে এখানে হাজির করানোর কোনো প্রশ্ন ওঠে না।’ এরপর এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। প্রথমে মওদুদ আহমদ আজ শুনানি না করার জন্য আদালতে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু আদালত সে দরখাস্ত নামঞ্জুর করে তাকে শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশ দেন। পরে আদালত মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে আদালতে নেয়া হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
6853ad9c-82f4-4554-880b-26f17f014556
১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল বিএনপি ১৪০ আসনে জয়লাভ করলেও আওয়ামী লীগ পেয়েছে মাত্রটি ৮৮টি আসন। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনে ‘সূক্ষ্ম কারচুপির’ অভিযোগ আনলেন। বলে রাখা ভালো, সে নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনও পরাজিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ আনলেও ড. কামাল হোসেন তখন বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার আত্মজীবনী ‘বিপুলা পৃথিবী’ বইতে লিখেছেন, এর জের ধরে ড. কামাল হোসেনের গাড়ি আক্রান্ত হয় এবং তিনি কটুকাটব্যের শিকার হন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া এক চিঠিতে ড. হোসেন নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দলীয় কোন্দল এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। এর ফলে তার এবং শেখ হাসিনার মধ্যকার দূরত্ব অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে উঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, ড. কামাল হোসেনের পক্ষে তখন আওয়ামী লীগে টিকে থাকা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। দলীয় বিভিন্ন ফোরামে তিনি ক্রমাগত তোপের মুখে পড়ছিলেন। সে সময়ের পত্র-পত্রিকা দেখলে এ ধারণাই পাওয়া যায়। সে সময় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবগুলো জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেন। সে চিঠিতে তিনি দলের ভেতর ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সতর্ক করে দেন। শেখ হাসিনা সে চিঠিতে লেখেন, ‘একটি মুখোশধারী চক্র দলে ফাটল ধরাবার চেষ্টা করছে।… নানা কৌশলে, সস্তা,সেন্টিমেন্টমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রকাশ্যে -অপ্রকাশ্যে আজ আমার ও আওয়ামী লীগের ইমেজকে খাটো করা হচ্ছে।’ সে চিঠিতে কারো নাম উল্লেখ না করা হলেও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ধরে নিয়েছিলেন যে ড. কামাল হোসেন ছিলো সে চিঠির লক্ষ্যবস্তু। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ড. কামাল হোসেন। তিনি হয়তো বুঝতে পারছিলেন তাকে ভিন্ন পথ দেখতে হবে। সেজন্য তিনি নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে একটি মঞ্চ তৈরির চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন। গণতান্ত্রিক ফোরাম গঠন ১৯৯২ সালের জুন মাসে ড. কামাল হোসেন গণতান্ত্রিক ফোরামের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ড. মোজাফফর আহমেদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী,ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামসহ আরো অনেকে। তবে এই গণতান্ত্রিক ফোরাম নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বেশ অস্বস্তি ছিল। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হবার পরও কেন ড. হোসেন গণতান্ত্রিক ফোরাম গঠন করলেন সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। ড. হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁর এই উদ্যোগে সাথে যুক্ত হন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের আত্মজীবনী ‘বিপুলা পৃথিবী’ বইয়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হতে রাজী হননি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি লিখেছেন, ‘আমার অনিচ্ছার কথা তাদের জানালে কামাল একদিন এ-বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তার চেম্বারে বসে দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়। আমি কামালকে বলি, তিনি রাজনীতিবিদ, আজ যে অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলছেন, কাল তা রাজনৈতিক সংগঠনে রূপান্তরিত করতে তিনি ইচ্ছুক হবেন।…. গণতান্ত্রিক ফোরাম রাজনৈতিক দল হলে আমি তাতে থাকতে পারবো না। এখন যোগ দিয়ে পরে বেরিয়ে আসার চেয়ে গোড়া থেকেই আমার পক্ষে বাইরে থাকা ভালো।’ অনেকে ধারণা করছিলেন যে ড. কামাল হোসেনের গণতান্ত্রিক ফোরাম একটি রাজনৈতিক দলে রূপ নিতে পারে। শুরুর দিকে তিনি এ ধারণাকে খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, এটি শুধুই নাগরিকদের ফোরাম। কিন্তু কামাল হোসেনের গণতান্ত্রিক ফোরাম নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা সমালোচনামূখর হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়। এ ধরণের ফোরাম না করার জন্য ড. কামাল হোসেনকে নিষেধ করা হলেও তিনি তাতে কান দেননি। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে থাকে। সে সময় বেশ জোরালো গুঞ্জন শুরু হয়ে যে কাউন্সিলের পর ড. কামাল হোসেন নতুন দল গঠন করবেন। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছিল। কাউন্সিলের কিছুদিন আগে দৈনিক ভোরের কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ফোরাম আওয়ামী লীগের বিকল্প নয়। সে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ফোরাম কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। … যারা গণতান্ত্রিক ফোরাম নিয়ে আপত্তি করছে, তারা না বুঝেই করছে।’ একই দিন আওয়ামী লীগের তৎকালীর প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা আব্দুস সামাদ আজাদও একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকাকে। তাতে তিনি গণতান্ত্রিক ফোরাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘ড. কামাল কেন গণতান্ত্রিক ফোরাম করেন আমি বুঝি না, আমরা তো চাই উনি পার্টি করুক, আওয়ামী লীগ করুন।’ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে ড. কামাল হঠাৎ বিদেশে চলে যান। তখন কারো বুঝতে সমস্যা হয়নি যে তিনি কাউন্সিল এড়িয়ে যেতে চাইছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ হারানো ১৯৯২ সালের ১৯ এবং ২০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তাতে জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। একই সঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ থেকে বাদ পরেন ড. কামাল হোসেন। তবে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়। কিন্তু তিনি তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ড, কামাল হোসেনকে জিজ্ঞেস না করেই তাকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তিনি শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি দেবার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়। তখন গুঞ্জন জোরালো হয়, ড. কামাল হোসেন আর আওয়ামী লীগে থাকছেন না। সে সময়ের খবরের কাগজ দেখে মনে হচ্ছিল ড. হোসেন এ ধরণের পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে তৈরি ছিলেন। কাউন্সিলের পর ড. কামাল হোসেন ভয়েস অব আমেরিকা রেডিওকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি গণতন্ত্রায়ণের মাধ্যমে হলে ভালো হতো। এমন অবস্থায় ড. হোসেনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আসার গুঞ্জন আরো জোরালো রূপ নেয়। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন তিনি। এ অবস্থায় কিছুদিন অতিবাহিত হয়। নিজের অবস্থান তুলে ধরে ড. কামাল হোসেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখতে পারেন- এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। সে সময় রাজধানীর মিরপুরে একটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছিল। সংবাদ মাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল যে ড. কামাল হোসেনকে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এর আগের নির্বাচনে এই একই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেন বিএনপির হারুন মোল্লার কাছে দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড. কামাল হোসেনকে মনোনয়ন না দিয়ে কামাল আহমেদ মজুমদারকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। ফলে দল থেকে ড. কামাল হোসেনের বেরিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। গণফোরাম গঠন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফোরামে তখন ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা চলছিলো। কেউ কেউ তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার পক্ষে মত দেন। পরবর্তিতে ১৯৯৩ সালের মে মাসে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সংসদের এক সভায় তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিম দাবি তোলেন যে, ড. কামাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সে রকম এক সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমাদের মধ্যে উদারতার কোন অভাব নেই। গত ২ বছরে আমি নিজেও তার সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছি। বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন উদ্যোগে সাড়া দিয়েছি। কিন্তু তিনি কথা দিয়েও বৈঠকে আসেননি। সাড়া দেননি’। এর কিছুদিন পর ড. কামাল হোসেনের রাজনৈতিক দল গড়ার উদ্যোগ সামনে আসে। তিনি যাদের সাথে আলোচনা করেন, তাদের মধ্যে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও ছিলেন। ড. হোসেনর ধারণা ছিলো যে, আওয়ামী লীগের ভেতরে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার ‘বিপুলা পৃথিবী’ বইতে লিখেছেন, ‘তারা কামালকে এমন ধারণা দেন যে, তিনি কোন বিকল্প সংগঠন গড়ে তুললে তারাও তাতে যোগ দেবেন। তেমন ইচ্ছে হয়তো এদের অনেকের আদৌ ছিলো না। কামাল আওয়ামী লীগ ছাড়লে দলের মধ্যে নিজেদের গুরুত্ব বাড়বে, এমন কথা হয়তো তাদের মনে ছিল। কামাল ধরে নেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে তার বড় রকম সমর্থন আছে’। ১৯৯৩ সালের অগাস্ট মাসের শেষ দিকে গণতান্ত্রিক ফোরামের তিন-ব্যাপী জাতীয় মহাসম্মেলন আহবান করা হয়। এতে ড. কামাল হোসেন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেবেন, সেটি অনেকটা পরিষ্কার ছিলো। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট রাজনৈতিক দল গণফোরাম গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে, সকালে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। তার পদত্যাগের চিঠি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়। তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির সংস্কারপন্থি অংশ, পংকজ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ন্যাপ এবং শাহজাহান সিরাজের নেতৃত্বে জাসদ-এর একটি অংশ গণফোরামের সাথে একত্রিত হয়ে যায়। এছাড়া রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গণফোরামের সাথে সম্পৃক্ত হন। ড. কামালের নেতৃত্বে গণফোরামের সাথে সম্পৃক্ত হন সিপিবি নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, ন্যাপ নেতা পংকজ ভট্টাচার্য, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, আবুল মাল আব্দুল মুহিত (বর্তমান অর্থমন্ত্রী). শাহজান সিরাজ (পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী)। মোস্তফা মহসিন মন্টুর বহিষ্কার ও ড. কামাল হোসেনের অবস্থান ১৯৯২ সালের মে মাসে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। এর আগে, বাদল হত্যার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর পর মন্টু আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের যে বৈঠকে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে তার পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন এবং তোফায়েল আহমেদসহ চারজন। মন্টুর বহিষ্কারাদেশের বিপক্ষে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন তারা। মোস্তফা মহসিন মন্টুকে যখন প্রথমে বহিষ্কার করা হয়, তখন তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশের সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রেসিডেয়াম সদস্য জোহরা তাজউদ্দীন। সেখানে তিনি বলেন, মন্টুকে অরাজনৈতিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে জোহরা তাজউদ্দীনের অংশগ্রহণ নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। কেউ-কেউ তাকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাতে সায় দেননি। মোস্তাফা মহসিন মন্টুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কিছুদিন পরেই ড. কামাল হোসেনও আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আসেন। ড: কামাল হোসেন যখন গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন সে সময় মোস্তফা মহসিন মন্টুও সাথে ছিলেন। মন্টু বর্তমানে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক। সূত্র: বিবিসি বাংলা
11bb64f5-ea26-417f-982f-0890ea3aaff2
প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণাসহ বিস্তারিত জানাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ইসির ৩৯তম মুলতবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহম্মদ অংশ নেন। বৈঠক শেষ সবকিছু ঠিক আছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এভরিথিং ইজ ফাইন, জাস্ট ওয়েট’ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনায় রেখে এই আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে আরেকটি সূত্র বলেছে, একাধিক তারিখ হাতে রাখছে নির্বাচন কমিশন। ২০ ডিসেম্বর কোনো কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে পরবর্তী তারিখ হতে পারে ২৩ ডিসেম্বর রোববার। সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিন হাতে থাকে। সেক্ষেত্রে ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে নির্বাচন হবে ৪২ দিন পর এবং ২৩ ডিসেম্বর হলে নির্বাচন হবে ঠিক ৪৫ দিন পর। এদিকে বৈঠক শেষে বেলা সাড়ে ১টার দিকে বিটিভি, বেতারের কর্মীরা সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার জন্য তার কক্ষে প্রবেশ করে। বেলা ২টার পর তারা বেরিয়ে গেলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান, সিইসির ভাষণ মোটামুটি ১৫ মিনিটের হবে।
4a00adb2-b616-48ed-b329-874d79687fde
বিএনপিসহ কয়েকটি দলের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবার সরকারের সাথে সংলাপে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাসহ তাদের মূল দাবিগুলোর সমর্থনে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে। ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গতকাল বুধবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাদের সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবি করে আসছে। কিন্তু এই প্রথম বিএনপি তাদের নতুন জোটের পক্ষ থেকে সংলাপে গিয়ে সেই সরকার ব্যবস্থার একটা প্রস্তাব বা রূপরেখা তুলে ধরলো। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে? রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক’ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি কোন রাজনৈতিক দল বা কোন দলের অঙ্গ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এছাড়া তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এমন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন বলে ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে বলা হয়েছে। বাকি ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে একই শর্ত দেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। আর ১০ জন উপদেষ্টা একইভাবে মন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনকালীন এই সরকার সংসদ ভেঙে দেয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে। তবে বাতিল হওয়া তত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো একই রকম ছিল। পুরোনো সেই ব্যবস্থার আদলেই বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট এই প্রস্তাব দেয়। সংসদ ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের যে প্রস্তাব এই প্রস্তাবে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ এর ‘খ’ উপধারা উল্লেখ করে সংসদ ভেঙে দেয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সাংবিধানিক এই বিধান ও প্রথার আলোকে প্রধানমন্ত্রী নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতিকে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সংবিধানসম্মত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন চেয়েছে ফেব্রুয়ারি বা মার্চে তাদের লিখিত প্রস্তাবে সংসদ ভেঙে দেয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার যে কথা বলা হয়েছে, সে অনুযায়ী তারা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চে নির্বাচন চেয়েছে। এই সময়ে নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে যুক্তি হিসেবে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৪৫ দিন ব্যবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্ট তাদের প্রস্তাবে বলেছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্তত আংশিক পুনর্গঠন অত্যাবশ্যক। সেখানে ঐক্যফ্রন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চেয়েছে। তারা বলেছে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ৬ ধারা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়ে সরে যেতে পারেন। রাষ্ট্রপতি দলগুলোর সাথে আলোচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে পারেন। সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে নতুন সচিব নিয়োগ করা প্রয়োজন বলেও তারা দাবি করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে অন্ততঃ জামিনে মুক্তি চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। আর সেজন্য এটর্নি জেনারেল, পিপি বা সরকারি আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করবে না, এমন নিশ্চয়তা তারা চেয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, সংসদ ভেঙে দেয়ার পর কম্পিউটার সিস্টেম অনুপ্রবেশ বা হ্যাকিং এর অপরাধ ছাড়া বাক বা মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন মামলা করা যাবে না। সভা সমাবেশের নিশ্চয়তা এখন থেকে নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগ পর্যন্ত সব দল এবং প্রার্থীদের সভা সমাবেশ এবং সংগঠনের স্বাধীনতা প্রয়োগের অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি তারা করেছে। বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা তারা বলেছে। বিশেষভাবে চিঠিপত্র, টেলিফোন এবং মোবাইল ফোনের কথাবার্তা ফাস করা সাংবিধানিক নয় বলে ঐক্যফ্রন্ট উল্লেখ করেছে। তারা এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করেছে। তারা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছে।-বিবিসি
87cb5b21-7dbf-441a-b47c-0feef40030e0
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামীকাল শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে ফরম বিতরণ অথবা বিক্রি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা এই ফরম বিতরণে নেতৃত্ব দেবেন।’ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। তাই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ফলাফল জানাতে যে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তা স্থগিত করেন। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে আমাদের নেত্রী আভাস দিয়েছেন। সময় মতো সাংবাদিক ভাইদের জানিয়ে দেয়া হবে।’
37fe87eb-30aa-46e2-8078-58a315769412
সাব্বির হোসাইন আজিজ, মাদারীপুর: বিএনপি-জামাত এখন ড. কামাল হোসেনের উপর ভর করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রে কোন লাভ হবে না। কোন শক্তিই ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছেন এবং আগামী নির্বাচনে জনগন নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। আবার ক্ষমতায় এসে মাদারীপুর তথা সারাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের নয়াচরে শিপ পার্সোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও ড্রেজার বেইজ নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি এখন কুঁজো দলে পরিনত হয়েছে। তারা এখন আর কোমড় সোঁজা করে দাড়াতে পারছে না। শুধু মুখে বলে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলন হবে। কই ঈদ তো অনেক আগেই চলে গেছে, তাদের তো কোন আন্দোলন আমরা দেখলাম না। বিএনপি কিভাবে আন্দোলন করবে, কারন তাদের সাথে তো জনগন নেই। এদেশের মানুষ তাদের চরমভাবে ঘৃনা করে। তারা ২০১৪/১৫ সালে দেশের সাধারণ মানুষকে যে ভাবে জ্যান্ত পুড়িয়ে, বোমা মেরে হত্যা করেছে তা বাংলার মানুষ ভোলেনি। এজন্য বিএনপি একটি হত্যাকারী দলে পরিনত হয়েছে। বিএনপি’র কোমড় ভেঙে গেছে দেখেই তারা পরগাছার মতো অন্যের উপর ভর দিয়ে রাজনীতি করছে। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আ.স.ম রব, মান্নাসহ কয়েকজন দল ছুটে লোকের সাথে মিলে রাজনীতি করছে। শাজাহান খান আরো বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামল স্বর্ণযুগে পরিনত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সারা দেশের সাথে সাথে মাদারীপুরে আজ স্বপ্নের মতো উন্নয়ন হয়েছে। এ জেলাতে ফোরলেন সড়ক হয়েছে, দশতলা বিশিষ্ট একটি বৃহৎ ভবনে সকল সরকারি অফিসের দপ্তর হচ্ছে। এ দপ্তর ভবনটি শুধু মাদারীপুরে প্রথম হয়েছে। যার পরিকল্পনাকারী আমি নিজেই। এ ভবনটি মাদারীপুরের দেখা দেখি এখন অন্যান্য জেলাতে হবে। এছাড়াও শিপ পার্সোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ইকোপার্ক, আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে, পুলিশ সুপারে নতুন কার্যালয়, আড়াইশ শয্যার সদর হাসপাতাল, নতুন জেলা কারাগার, আসমত আলী খান ৭ম চীন মৈত্রী সেতু, কারিগরি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, আকর্ষনীয় শকুনী লেকের সৌন্দর্য বর্ধন, বহু সেতু, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ। বিআইডব্লিউটিএ’র সচিব কাজী ওয়াকিল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে, সচিব শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
245ee1ad-6b9d-44d0-afa4-6fc147c96836
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বারে এক বন্দুকধারী হামলায় পুলিশ অফিসারসহ ১২ জন নিহত হয়েছন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১১ টা ২০ মিনিটে লস এঞ্জেলস থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরের থাউজ্যান্ড ওয়াকস শহরে অবস্থিত বর্ডারলাইন বার অ্যান্ড গ্রিল নামের একটি নাইটক্লাবে হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি। সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি সেমি-অটোমেটিক বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়ে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। কর্তৃপক্ষ বলছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন তবে তার পরিচয় জানা যায়নি এখনও। এছাড়া কি কারনে এই হামলা করেছেন তাও জানতে পারেনি প্রশাসন। ক্লাবটিতে একটি কলেজ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বলে জানায় বিবিসি। ঘটনার সময় ক্লাবটিতে প্রায় ২০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল। এসময় জানালা ভেঙ্গে বাহির হতে কিছু মানুষ দেখা যায় এবং আরো কিছু মানুষ টয়েলেটে আশ্রয় নেন।
5830c98f-ded3-4c57-b17a-d3a62d65d508
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু না হতেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এটিকে শুধু মনুষ্যত্বহীন কাজই নয়, সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশনা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ লঙ্ঘন করে সরকার দেশনেত্রীকে ফের কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তার চিকিৎসা শুরুই হয়নি, কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আর সেই মুহূর্তে দেশনেত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করা শুধু মনুষ্যত্বহীন কাজই নয়, এটি সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। রিজভীর দাবি, খালেদা জিয়ার ডাক্তার ও তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আতিকুল হকের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। আতিকুল হক খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছুটির ছাড়পত্র দেননি এবং মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জলিলুর রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে। এমতাবস্থায় সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খালেদা জিয়ার ছাড়পত্র দিতে বাধ্য করতে চাপ সৃষ্টি করেছে। ‘চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে পাঠানো বেগম জিয়ার জীবনকে বিপন্ন করার অথবা শারীরিকভাবে চিরতরে পঙ্গু করার চক্রান্ত সরকারের কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকার’-যোগ করেন রিজভী। বিএনপির এ নেতা বলেন, বেগম জিয়া সুস্থ হোক, বিদ্বেষপ্রবণ সরকার এটি কখনও চায় না। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে লাগামছাড়া ক্রোধে এই অবৈধ শাসকগোষ্ঠী এখন তার জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
445372ab-bab8-44c1-8aee-90929b8a01cc
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুদান পেয়েছেন দেশের চার গুণী শিল্পী। তারা হলেন বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র, অভিনেত্রী রেহানা জলি, নূতন ও কণ্ঠশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। এই চার শিল্পীকে ৯০ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে ডেকে শিল্পীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত তাদের চিকিৎসা ও অসহায়ত্ব দূরীকরণে এই সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবীর মিত্র ও রেহানা জলি পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা করে এবং অভিনেত্রী নূতন ও শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি পেয়েছেন ২০ লাখ করে। শিল্পী ঐক্য জোটের সভাপতি ও অভিনেতা ডি এ তায়েবের পরামর্শে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও নাট্য নির্মাতা জিএম সৈকতের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন প্রবীর মিত্র, রেহানা জলি ও নূতন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুদান পেয়েছেন শিল্পীরা। জানা গেছে, অনুদানের এই টাকা ব্যাংকে জমা থাকবে সঞ্চয়পত্র হিসেবে। সেখান থেকেই প্রতি মাসে একটি করে কিস্তিতে টাকা পাবেন শিল্পীরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সহায়তা পাওয়ার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চার শিল্পী। প্রধানমন্ত্রীর এই শিল্পীবান্ধব মানসিকতার জন্য ধন্যবাদও জানান তারা।
82077ce8-f1e2-488d-8861-e9174eb84ad8
মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইসবপুর ইউনিয়নের ফলিমাড়ি বর্জাডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চিরিরবন্দর ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। ফলিমাড়ি বর্জাডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্প কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখে সবাই ডাক-চিৎকার করা শুরু করলে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা শুরু করি। আগুনের তীব্রতা থাকায় নিয়ন্ত্রনে আনতে স্থানীয়রা ব্যর্থ হই। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জিয়াবুল হকের ঘরের শর্ট সার্কিট থেকে বিদ্যুতের আগুন লেগে ওই সারির মোট ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি, দূঘর্টনার সময় আগুন নিয়ন্ত্রয়নে আনতে বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করার জন্য চিরিরবন্দর পল্লী বিদ্যুত অফিসে একাধিক বার ফোন দিয়েও তাদের পাওয়া য়ায়নি। এ অগ্নিকান্ডে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে । স্থানীয় তোফাজ্জল হেসেন জানান, অগ্নিকান্ডে বসতঘরসহ সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো একেবারেই নিস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে কোন মতে বসবাস করতে হবে। চিরিরবন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সৈয়দ সাইফুল্লা জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় অন্তত ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এদিকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম রব্বানী।
60998466-4e6c-4918-83a8-2d0a94f1caa2
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে যেন বিয়ের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসে গাঁটছড়া বাঁধছেন রণবীর সিং এবং দীপিকা পাডুকন। ইতালি থেকে তাঁরা বিয়ে সেরে ফেরার পর সাতপাক ঘুরবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাস। ২০১৯-এ এরপর নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অর্জুন কাপুর এবং মালাইকা অরোরা। এখানেই শেষ নয় কিন্তু। শোনা যাচ্ছে, অর্জুন-মালাইকার পর এবার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করছেন সুস্মিতা সেন-রোমান শল। অবাক লাগছে শুনে? ডিএনএ-র খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শেষের দিকে নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন সুস্মিতা এবং রোমান। এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে সুস্মিতা কিছু না জানালেও, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীর আকার ইঙ্গিতে বেশ স্পষ্ট। গত দু’মাস ধরে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ‘ডেটিং’ করছেন রোমান। একটি ফ্যাশন শো-এ হাজির হয়েই রোমানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুস্মিতা। রোমান নাকি ইতিমধ্যেই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন। আর তাতেই নাকি রাজি হয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা। সেই কারণেই এবার বিয়ের কথা ভাবছেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি বলিউডের বেশ কয়েকটি পার্টিতে সুস্মিতার সঙ্গে দেখা যায় রোমানকে। শিল্পা শেঠি কুন্দ্রার দীপাবলি পার্টিতে এই দু’জনকে হাতে হাত ধরে পোজ দিতেও দেখা যায়। তখন থেকেই শুরু হয় জোর গুঞ্জন। এদিকে রোমানকে বেশ পছন্দ সুস্মিতা-কন্যাদের। সম্প্রতি রোমানের সঙ্গে গান গাইতে দেখা যায় সুস্মিতার বড় মেয়ে রিনিকে। ছোট মেয়ে আলিশাও বেশ খুশি রোমানের সঙ্গে। এ বিষয়ে প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী বলেন, তাঁর দুই মেয়ে যে এইভাবে খুব সহজে রোমানকে মেনে নেবে, তা ভাবেননি তিনি। তাই রোমানের সঙ্গে রিনি এবং আলিশার এত ভাল সম্পর্ক দেখে তিনি বেশ খুশি। আর এসব কারণেই কি এবার রোমান শলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ভাবছেন সুস্মিতা, সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বি টাউনের আনাচে কানাচে।
d74c2952-5eb1-4f88-aa2b-676f2a7786e3
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সারা দেশে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনী এসব উপকরণের মধ্যে রয়েছে- মনোনয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন রকম ফরম। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁও বিজি প্রেস থেকে জেলায় জেলায় উপকরণ পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিজি প্রেস থেকে তা সংগ্রহ করছে। নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী চাইলে তাকে মনোনয়নপত্র দিতে হবে। আর এ জন্যই নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তাই সকালেই মাঠ পর্যায়ে মনোনয়নপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিজি প্রেস থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্রসহ নির্বাচনী উপকরণ পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, আজ সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সন্ধ্যায় ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
9001e970-37e7-4e82-a18b-b8d364177e12
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের এই দিন ঘোষণা করেন। ‘দেশব্যাপী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে’ দাবি করে সিইসি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচর ঘিরে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের জাগরণ ঘটে। তাদের বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে গোটা দেশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। জনীতিবিদদের কৌশল প্রণয়ন, প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারণা, সমর্থকদের জনসংযোগ, ভোটারদের হিসাব-নিকাশ, হাট-বাজারে মিছিল-স্লোগান, প্রশাসনে রদ-বদল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতির ঘটনা ঘটে। ভোটের দিনে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মধ্যে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।’ তিনি বলেন, ২০১৮ সাল সেই নির্বাচনের একটি বছর। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। সুশীল সমাজ মতামত প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে। সিইসি বলেন, জাতির এমন উচ্ছ্বসিত প্রস্তুতির মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আমি প্রত্যাশা করব, অনুরোধ করব এবং দাবি করব, প্রার্থী এবং তার সমর্থক নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। প্রত্যেক ভোটার অবাধে এবং স্বাধীন বিবেকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থীর সমর্থক ও এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হয় বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হয়, তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। দল ও মত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ, নারী ও পুরুষভেদে সকলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট শেষে নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। এর আগে, বেলা ১১টায় বৈঠক করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে ইসি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিইসির কক্ষে বৈঠকটি হয়। দুপুরে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সবকিছু
db1138fc-7840-41e0-a6cb-e23fbaf30fe8
বেনাপোল প্রতিনিধি: ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ হুন্ডির টাকা সহ কালু মন্ডল (৩০ )নামে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করেছে।সে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপাল নগর থানা সাতবাড়িয়া গ্রামের আবু তাহের মন্ডলের ছেলে । ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আমজাদ হোসেন জানান,গোপন সংবাদে জানতে পারি ভারত থেকে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা দিয়ে এক ট্রাক ড্রাইভার হুন্ডি টাকা নিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় তাকে আটক করতে গেলে সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে পরে তাকে ধরে এনে তার দেহ তল্লাশি করে ৩লাখ হুন্ডির টাকা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে ।
53c93c8a-5569-4e58-b57a-b9e69133aab3
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ মহড়া প্রদর্শন করে র্যাব। আজ সোমবার সকালে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের শতাধিক সদস্য গাড়ি বহরের মাধ্যমে মহড়া দেয়। ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিউদ্দিন যোবায়ের, সিনিয়র সহকারি পরিচালক চন্দন দেবনাথ ও এএসপি তৌফিকুল আলমের নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়ক ও শহরের অলিগলিতে বিশেষ মহড়া চলে। র্যাবের অধিনায়ক মোহাম্মদ রফিউদ্দিন যোবায়ের জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষ মহড়া দেয় র্যাব। নিয়মিত মহড়ার মাধ্যমে সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে যেন নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ কোন অপরাধমুল কর্মকান্ড ঘটাতে না পারে সেজন্য এবং জনসচেতনতা বাড়াতে এধরণের মহড়া অব্যহত থাকবে।
8b7e38a3-75f6-483c-ad93-51c954b3034d
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের বৈঠক বসেছিল নির্বাচন কমিশনে। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এর আগের বারের মত এবার কিন্তু তিনি বৈঠক বর্জন করেননি। তবে আজ কেন জানি তিনি কোনো কথায় বলতে চাইছেন না! বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ইসির ৩৯তম মুলতবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মাহবুব তালুকদার তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সাংবাদিকরা দফায় দফায় চেষ্টা করলেও কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার এর আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে দু’টি কমিশন বৈঠকে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অন্যদের বক্তব্য না শুনে সভা বর্জনও করেছিলেন। এমনকি বর্জনের পর সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন তিনি। কমিশনার তালুকদারের দলগুলোর দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওইসব বৈঠক বর্জন করেছিলেন বলে সে সময় জানা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ ও বিরোধীদলগুলোর জন্য মীমাংসিত নয় বলে জানালে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল তার অবস্থান নিয়ে। প্রশ্ন ছিল আলোচনা কেমন হলো নিজেদের মধ্যে। তবে তিনি তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে জানান- ‘আজ আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথাই বলবেন না।’ এর আগে তফসিল চূড়ান্ত তথা ভোটের তারিখ নির্ধারণে সিইসিসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার সকাল ১০টার আগেই নির্বাচন ভবনে পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে সিইসির কক্ষে বৈঠকে বসে কমিশন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সকালে মাহবুব তালুকদারকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায়। বৈঠকে বসার আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে হাস্যরস করেন তিনি। সে সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও ছিলেন। ইসি সূত্র জানায়, মাহবুব তালুকদার মনে করেন নির্বাচন তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তার মতে এখনো অনেক বিষয় মীমাংসিত নয়। ঐক্যফ্রন্টসহ কয়েকটি দল তফসিল পেছানোর পক্ষে। তবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু দল বৃহস্পতিবারই (৮ নভেম্বর) তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন করতে চায়। এদিকে আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের ফলাফল জানাতে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ১০ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষের দিকে থাকায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে সিইসির ভাষণ রেকর্ডও করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় রেডিও ও টেলিভিশনে একযোগে সেই ভাষণ প্রচার করা হবে।
e214867b-3af2-40d7-a5f9-190bd477a919
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিএনএন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টাকে হোয়াইট হাউজে নিষিদ্ধ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে হোয়াইট হাউজ সাংবাদিক অ্যাকোস্টার পাস বাতিল করে। পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে পারবেন না। গতকাল (বুধবার) আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে উপস্থিত হয়ে সিএনএন’র হোয়াইট হাউজ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক জিম অ্যাকোস্টা অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন। এ প্রশ্ন থেকেই দু জনের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। জিম অ্যাকোস্টার পাস বাতিল প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স হাকাবি বলেছেন, “এক সাংবাদিকের পাস বাতিল করা হয়েছে। কারণ তিনি একজন নারীর গায়ে হাত রেখেছেন। হোয়াইট হাউস কখনই এ ধরনের আচরণ বরদাশত করবে না।” পাস বাতিলের বিষয়টি জানিয়ে জিম অ্যাকোস্টাও টুইট করেছেন। নারীর গায়ে হাত রাখার অভিযোগ তিনি সরাসরি নাকচ করেন। সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওটি অনলাইনে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা গেছে- জিম অ্যাকোস্টা অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, “আমাকে রাষ্ট্র চালাতে দিন, আপনি সিএনএন চালান এবং আপনি যদি এটি করতে পারেন তাহলে আপনার মানদণ্ড অনেক উপরে উঠবে।” এরপর অ্যাকোস্টা আরেকটি প্রশ্ন করার ইচ্ছা পোষণ করলে ট্রাম্প বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে।” এরপর অ্যাকোস্টার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এসময় ট্রাম্প তাকে ‘উদ্ধত’ ও ‘ভয়ঙ্কর’ ব্যক্তি আখ্যা দিয়ে বলেন, “সিএনএন’র হয়ে আপনার কাজ করা উচিত নয়। আপনাকে নিয়ে লজ্জাবোধ করা উচিত সিএনএন’র।”২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারিতে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন ট্রাম্প। সেদিনই সিএনএন’র এক প্রতিবেদকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন ৭২ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
78c2e74d-d9a9-4f9b-92cc-410b62776c86
যেসব দলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন নেই সেসব দলও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে দলগুলোকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি আইনে নেই। কিন্তু কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যদি কোনো অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীকে নমিনেশন দেয়, তাহলে তো আমরা বাধা দিতে পারব না। নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের সদস্যরা স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে কি না বা কমিশন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা অন্য কোনো দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনর করতে চাইলে তাদেরকে আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নেই। সচিব আরো জানান, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। আজকেই (শুক্রবার) দলগুলোকে এ বিষয়ে জানাতে চিঠি দেয়া হবে। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে আগাম প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত বিষয়াদি সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
34e56a94-884c-485d-b155-3b909fe6da68
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বে তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যেতে পারে এবং এতে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে আরো একঘরে হয়ে পড়বে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় আগামী বছর ইরানে হয়ত কিছু মন্দাভাব দেখা দিতে পারে তবে অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একজন ইউরোপীয়ান কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন আরো বলা হয়েছে, তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালের আগের সময়ের তুলনায় বর্তমানে ইরানের পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় আছে এবং বাস্তবতা হচ্ছে ওয়াশিংটন এখন একঘরে হয়ে পড়ছে। ইরানের কর্মকর্তারাও ওই কূটনীতিকের অনুরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, সম্প্রতি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে ইরানের তেল রপ্তানীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি। ইরানের পরিকল্পনা এবং বাজেট বিষয়ক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ বাকের নোবাখত গত মাসে বলেছেন, ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার রপ্তানীর পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার মাধ্যম ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের তেলের আয় শূণ্যে নামিয়ে আনতে চেয়েছিল। তবে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে সে ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি।
8c77279f-3615-4c63-b046-66bb3c8fb04f
কোনো ধূমকেতু বা গ্রহাণু নয় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভিনগ্রহীদের পাঠানো মহাকাশযান! আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ প্রকাশিতব্য তাদের গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিশিষ্ট অধ্যাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যামুয়েল বেলি ও অভি লোয়েব। তারা জানায়, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ওই মহাজাগতিক বস্তু ‘আউমুয়ামুয়া’ আদতে কোনও ধূমকেতু নয়। খুব সম্ভবত ওটা ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান। আর সেটাকে চালাচ্ছে আলো। আমাদের সূর্য বা তার মতো কোনও নক্ষত্রদের আলোই তাকে ঠেলেঠুলে ব্রহ্মাণ্ডের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে নিয়ে চলেছে। অন্য কোনও নক্ষত্রমণ্ডল থেকে তাকে ঢুকিয়ে দিয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলে। আবার হয়তো কোনও কালে তাকে ঠেলেঠুলে আমাদের সৌরমণ্ডল থেকে ‘আউমুয়ামুয়া’কে টেনে বের করে নিয়ে যাবে সেই আলোই। গত বছরের অক্টোবরে হাওয়াই দ্বীপের হালিকালা অবজারভেটরির টেলিস্কোপে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ভারিকের চোখে তা প্রথম ধরা পড়ার পর থেকেই এই মহাজাগতিক বস্তুটিকে নিয়ে তোলপাড় বিজ্ঞানী মহল। তখনই প্রশ্ন ওঠে, ব্রহ্মাণ্ডের আলো-আঁধার ফুঁড়ে কি কখনও কোনও কালে আমাদের সৌরমণ্ডলে ঢুকে পড়েছিল অন্য কোনও নক্ষত্র (ইন্টারস্টেলার) বা গ্যালাক্সি (ইন্টার-গ্যালাক্টিক) থেকে আসা এক অচেনা আগন্তুক? সেই আগন্তুক আদতে কি ধূমকেতুর মতো কোনও মহাজাগতিক বস্তু? বা, কোনও গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড? নাকি, ভিনগ্রহীদের ব্রহ্মাণ্ড ঢুঁড়ে বেড়ানো কোনও মহাকাশযান? এই মহাজাগতিক বস্তুটির আবিষ্কারের পরেই তার নাম রাখা হয় ‘আউমুয়ামুয়া’। হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় যার অর্থ, বহু দূর অতীত থেকে আসা কোনও বার্তাবাহক। ২৩০ মিটার লম্বা, ৪০ মিটার চওড়া কালচে-লাল রংয়ের ‘সিগার’-এর মতো দেখতে ‘আউমুয়ামুয়া’র বয়স, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমানে, প্রায় কয়েকশো কোটি বছর। এটা পুরু বড়জোর এক মিলিমিটার। এর শরীর পুরোপুরি মোড়া কার্বনের কোনও যোগে। এর গতিবিধি এখনও সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। গত বছরের অক্টোবরে সূর্যের অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে ‘আউমুয়ামুয়া’ আমাদের নক্ষত্রের কাছে আসার সময়েই তা প্রথম চোখে পড়েছিল বিজ্ঞানীদের। তার তিন মাস পর থেকেই আবার তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পৃথিবীর কোনও প্রান্তের কোনও অবজারভেটরির কোনও শক্তিশালী টেলিস্কোপ থেকেই। সূর্যের কাছে আসার পরপরই অসম্ভব দ্রুত গতিতে ‘আউমুয়ামুয়া’ আমাদের থেকে অনেক অনেক দূরে আমাদেরই ছায়াপথ ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’র কোথাও না কোথাও ‘মুখ লুকিয়েছে’। বা, ‘আত্মগোপন’ করেছে আমাদের সৌরমণ্ডলেরই কোনও অচেনা, অজানা প্রান্তে। একটি বিবৃতিতে অধ্যাপক লোয়েব বলেছেন, আউমুয়ামুয়া ভিনগ্রহীদের ব্যবহার করা কোনও যন্ত্রাংশের ভেঙে পড়া, অচল হয়ে যাওয়া অংশ নাকি তা এখনও সক্রিয়, সচল, তা স্পষ্ট নয়। হতে পারে কোনও নক্ষত্রের তীব্র বিকিরণের চাপ বা দৈত্যাকার কোনও লেসার রশ্মির ঠেলাই ‘আউমুয়ামুয়া’কে আমাদের সৌরমণ্ডলে ঢুকিয়ে দিয়েচিল কোনও কালে। আলোর ‘ঠেলা’ দিয়ে যে কোনও মহাকাশযান চালানো সম্ভব, তা আর কল্পবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু নয়। আজ থেকে আট বছর আগেই জাপানের ‘আইকারস’ মহাকাশযানকে আলোর ঠেলা দেওয়া হয়েছিল, তার গতি হঠাৎ করে অনেকটা বাড়িয়ে তুলতে। গত বছর একদল বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ‘আউমুয়ামুয়া’ আদতে একটি ধূমকেতু, যার কোনও বরফের লেজ নেই। আবার ধূমকেতুর মাথায় যেমন গ্যাস আর ধুলোকণার জমাট বাঁধা একটি অংশ থাকে, তেমন কিছুও নেই ‘আউমুয়ামুয়া’-র মাথায় বা তার শরীরের কোনও অংশেই। তবে এর আগেও হদিশ মিলেছে লেজকাটা ধূমকেতুর। এ বছরের জুনে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানী মার্কো মিশেলি অঙ্ক কষে দেখিয়েছিলেন, শুধুই সূর্য বা কোনও নক্ষত্রের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে এই ব্রহ্মাণ্ডে ছুটে বেড়াচ্ছে না ‘আউমুয়ামুয়া’। তাই এটা কোনও গ্রহ বা গ্রহাণু নয়। বরং এটা যেন চলছে বাইরে থেকে আসা কোনও গ্যাসের ঠেলায়। তাই তাঁরা এটাকে ধূমকেতু বলেই মনে করেছিলেন। কিন্তু এই অক্টোবরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী রোমান রাফিকভ জানান, এটা এমনই ‘উড়নচণ্ডী, পাগলাটে’ যে, তার কোনও সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই। সেই কক্ষপথে সূর্য বা কোনও নক্ষত্রের কাছে এলে যেমন তার জোরালো টানে ধূমকেতুর বরফ বা গ্যাসের অংশগুলি ছিটকে বেরিয়ে আসে, ‘আউমুয়ামুয়া’-র ক্ষেত্রে তা হয় না। তাই এটা কোনও ধূমকেতু নয়। নয় কোনও গ্রহাণুও।
846b4bad-36a6-49ea-b28d-a265b4922e0d
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এই তফসিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে না। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এসময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সিইসির তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ নভেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ এবং ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ।
9534b67b-a256-476e-a4c6-a211532b7f76
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে কানাডায় আশ্রয় দেয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিলো অটোয়া তাতে এখনও রাজি হয়নি বাংলাদেশ সরকার। তবে সরকার এটি প্রত্যাখ্যানও করেনি। বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা। এ প্রসঙ্গে কানাডার কর্মকর্তারা জানান, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বাংলাদেশ সফরের সময় মিয়ানমার সেনাদের হাতে ধর্ষিত নারীসহ অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সে দেশে আশ্রয় দেয়ার একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। ফলে এটি এখনও ঝুলে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা টমাস রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড তখন বলেছিলেন, কানাডা রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী তার দেশ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি তখন বলেন, তার কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবে।’ ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনও দু দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে।’ এদিকে গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে ফেরত না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত কমিটি। কেননা জাতিসংঘের আশঙ্কা সেখানে তারা ফের নিপীড়নের শিকার হতে পারে। মিয়ানমার সেনা অভিযানের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে থেকেই দেশটিতে অবস্থান করছিলো ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।ফলে বর্তমানে ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর ভার বইছে বাংলাদেশ। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে নানা টালবাহানা করছে মিয়ানমার সরকার। সূত্র: আল জাজিরা
4d17ec51-c179-4834-a7e8-268e3cd0ad53
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে কুমিল্লার সেনানিবাস সংলগ্ন ময়নামতি কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিতে (ওয়ার সিমেট্রি) শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার কানভের হোসেন বরের নেতৃত্বে ওইসব দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন। হাই কমিশনার ও প্রতিনিধিগণ ময়নামতির যুদ্ধ সমাধির পশ্চিম পাশে অবস্থিত হলিক্রস পাদদেশে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে প্রার্থনা করেন ফাদার আলবারু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জার্মানের রাষ্ট্রদূত পিটার তাহরু হলতি, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি এনিক বাউরদিন, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরুইয়াসু ইজুমি, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিবলেট, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনয়িট প্রিফনটেইন, শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ক্রিশান্তি ডি সিলভা, আমেরিকান দূতাবাসের প্রতিনিধি জুয়েল রিফম্যান, ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জে এস চিমা প্রমুখ। বাংলাদেশের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল তাবরেজ আহমেদ শামস চৌধুরী, এনডিসি-পিএসসি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও জেলা পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম-বিপিএম (বার) পিপিএম। নিহত সৈনিকদের স্মরণ অনুষ্ঠান শেষে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন এবং দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৮ জন সৈনিককে ময়নামতির এ যুদ্ধ সমাধিতে সমাহিত করা হয়।
7e4924c5-5047-4d91-8184-4e06dcee5133
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনীতিতে এসেছি তবে বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই খালেদা জিয়া বলে জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, তাই খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা যাবে না। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি যদি ক্ষমতায় আসি, তাহলে বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার বিভেদ ঘোচাব। বিএনপির সমাবেশে আমি আসিনি, আমি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে এসেছি বলেও মন্তব্য করেছেন সদ্য যোগ দেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি না এই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাব এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আন্দোলন চলবে বলে সমাবেশে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। নেতারা এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও করেছেন।