document_id
stringlengths 36
36
| text
stringlengths 253
70.2k
|
---|---|
dd94258a-483b-4c58-9946-1b419b68fb3e | রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার ভেতরে গাড়ি প্রবেশ বা সেখানে পার্কিং করা যাবে না। গতকাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
নিউ মার্কেটের ভেতরে গাড়ি পার্কিং বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিউ মার্কেটের ভেতরে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে আরেকটি রুলে।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ডেপুটি কমিশনার রমনা, নিউ মার্কেট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং মার্কেট কমিটির সভাপতিকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ভেতর থেকে অবৈধ পার্কিংয়ের কয়েকটি ছবি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘সমাজের প্রতি যুব উদ্যোগ’-এর সভাপতি ও আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ। রিটে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীসহ মোট ছয়জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়।
জনস্বার্থে করা এই রিটের ওপর আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শুভজিৎ ব্যানার্জি ও অর্পণ চাক্রবর্তী। অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, দেশের সবচেয়ে পুরনো ও প্রসিদ্ধ রাজধানীর নিউ মার্কেট। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, মার্কেটের পার্কিংয়ের খুবই খারাপ অবস্থা। গাড়ি পার্ক করার জন্য ক্রেতারা ঠিকমতো কেনাকাটা ও চলাচল করতে পারে না। এই কারণেই রিট আবেদনটি করা হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
08478a76-76db-45f3-9986-27c5f6886d5e | রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ার ‘রুবি ভিলার’ মেসে নিহত হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ত্রী ও মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন র্যাবের অভিযানে নিহত মেজবা উদ্দিন। স্ত্রী ও মাকে তিনি বলেছিলেন, ‘জান্নাতে দেখা হবে।’ এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে মেজবার পরিবার গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় ছেলে ‘নিখোঁজ’ জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জেনেছে র্যাব।
র্যাবের অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন তিন জঙ্গির মধ্যে এখনো দুজনের পরিচয় মেলেনি। র্যাব বলছে, নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে শনাক্ত হওয়া মেজবার সঙ্গে নিহত দুজনের পূর্বপরিচয় ছিল বলে র্যাব মনে করছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহত মেজবার সঙ্গে তাদের চলাফেরা করার তথ্য র্যাব পেয়েছে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, অভিযানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে। অন্য দুজনের পরিচয়ও যাচাই করা হচ্ছে। গত ২০ অক্টোবর মেজবার সঙ্গে তাঁর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া দুই যুবকের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
মেজবা উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মেজবার বাবার নাম মাওলানা এনামুল হক। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাদুয়ারায়। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মেজবা চতুর্থ। মনোহরগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। ২০০৭ সালে রাজধানীতে আসার পর সায়েদাবাদ এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজ ভাড়া নেন। পরে যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে ‘মেজবা টায়ার শপ’ নামে নিজে একটি মোটর গ্যারেজ চালু করেন।
মেজবা যাত্রাবাড়ী জনপথ মোড় এলাকার একটি মেসে থাকতেন। র্যাব সূত্র জানায়, এ সময় তিনি মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার পাশাপাশি ধর্মকর্ম পালনও শুরু করেন। বিষয়টি তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করে। মেজবা গত বছরের ২৮ মে পারিবারিকভাবে তাঁর পাশের গ্রামের শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর স্ত্রীকে বলেন, প্রচলিত রাষ্ট্র ও সমাজের নিয়ম তিনি সমর্থন করেন না। গত ২০ অক্টোবর তিনি গ্রামের বাড়ি যান। তাঁর সঙ্গে ওই সময় দুই যুবক ছিল।
অপরিচিত ওই যুবকদের বিষয়ে মেজবা পরিবারের সদস্যদের বলেন, তারা তাঁর মায়ের পেটের ভাইয়ের থেকেও বেশি আপন। ২৬ অক্টোবর তিনি পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিম নাখালপাড়ার ১৩/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় একটি মেসে র্যাব অভিযান চালায়। এতে মেজবাসহ তিনজন নিহত হয়। ওই বাড়ির মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পার্সার। নিহতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য বলে র্যাব জানায়। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, দুটি বিদেশি পিস্তল, ১৪টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর ও চারটি পাওয়ার জেল উদ্ধার করে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
f45d3ad4-00dc-49a6-bfea-fa5c413c1d8f | বিখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী এবং একক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশি শ্রমিক কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি), নারী উন্নয়নে বাংলাদেশকে আরো সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম দেশের সম্ভাবনাময় খাত—পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক ইত্যাদিতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি।
মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় আরো বক্তব্য দেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম ও পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমদ, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম এ সালাম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও ডা. মঈনুল ইসলাম, উইমেন চেম্বারের সহসভাপতি মুনাল মাহবুব, জাপানের অনারারি কনসাল জেনারেল নুরুল ইসলাম, ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল এম এ আউয়াল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান হুমায়ুন কবির।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এম এ মোতালেব, সরওয়ার হাসান জামিল, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মোহাম্মদ জাহেদুল হক, এস এম শামসুদ্দিন, হাসনাত মো. আবু ওবাইদা ও মুজিবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ডেপুটি পলিটিক্যাল/ইকোনমিক চিফ এলেন ওয়াং, ইকোনমিক অফিসার ইভারসন লং, ইপিবির পরিচালক কঙ্কণ চাকমা, বিডার উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিচালন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। আজ বুধবার বার্নিকাট চট্টগ্রাম কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় জাহাজ মেরামত স্থাপনার নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0ab09353-7a99-4ae2-9c55-540fc8e3d6c5 | নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আপিল বিভাগের আদেশে। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আপাতত বাধা নেই।
গতকাল সরকারের দুটি দপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আর রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা পরে সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের তিনটি লিভ টু আপিল ছিল। সেগুলো মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর পৃথক একটি আপিল করেছিল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে সব বিষয়ের আপিল শুনানি শুরু হবে। মুরাদ রেজা আরো বলেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।
তিনটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ ও ২০১২ সালে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে গত বছর ১১ মে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ এর ১১টি ধারা-উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, এই আইন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাসথেটিক প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দিলে জামিন নিয়ে ১১ অক্টোবর একটি রিট আবেদন করেন তিনি। ওই আবেদনে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯-এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
একই বছরের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার টয়েনবি সার্কুলার রোডের মো. মজিবুর রহমানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড ও জরিমানা করলে তিনি একটি রিট আবেদন করে এসংক্রান্ত আইনের কয়েকটি ধারা বাতিল চান এবং জরিমানার অর্থ ফেরত পেতে নির্দেশনা চান।
পরের বছর ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট করেন। এসব রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8d37b473-4975-4b58-a9d0-64f044a3abc8 | ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে। আর এই উন্নয়ন করতে গিয়ে কাটা পড়ছে তিন হাজার ৭৩২টি গাছ। এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি গাছ কেটেও ফেলা হয়েছে।
রাস্তার পাশের সব গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে প্রায় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকায়। অথচ যারা গাছগুলো লাগিয়েছিল এবং প্রায় ২৫ বছর ধরে দেখভাল করেছে, তারা পায়নি এক টাকাও।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১৭ ফুট চওড়া রাস্তাটি প্রশস্ত করে ২৮ ফুট করা হবে। এ কারণে দুই পাশের গাছগুলো কেটে ফেলতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও পাশের গাছগুলো লাগানো হয় ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদ, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন এবং স্থানীয় কয়েকটি সমিতির মাধ্যমে। এদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সমিতির সদস্যরা পাবে গাছ বিক্রির ৬০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ করে পাবে উপজেলা পরিষদ ও প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন। কিন্তু এদের না জানিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ দরপত্রের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে দেয় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকায়। এ হিসাবে গড়ে প্রতিটি গাছের দাম পড়েছে মাত্র দুই হাজার ৭৯১ টাকা।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান রোমান বলেন, তাঁদের কোনো কিছু না জানিয়েই গাছগুলো বিক্রি করেছে জেলা পরিষদ।
একই অভিযোগ করেছেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন সিঙ্গাইর শাখার তত্ত্বাবধায়ক মহিদুল রহমান। তবে তিনি জেলা পরিষদের কাছে ভাগের টাকা চেয়ে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান।
এ ছাড়া ক্ষোভ জানিয়েছে গাছ লাগানোর জন্য গঠিত বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা। সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মোট ১০টি সমিতি আলাদাভাবে নিজেদের এলাকায় গাছগুলো লাগিয়েছিল।
গেরাদিয়া এলাকার সদস্যরা জানায়, হঠাৎ করে একদিন দেখে তাদের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন তাদের বলে, জেলা পরিষদের কাছ থেকে তারা গাছ কিনেছে। কিন্তু জেলা পরিষদে গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, নামমাত্র দামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। বেশির ভাগই মেহগনি হলেও রয়েছে কড়ই, কাঁঠাল, আমসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। গড়ে প্রতিটি গাছ মাত্র দুই হাজার ৭৯১ টাকায় বিক্রি করা হলেও এর একেকটির দাম কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বলে দাবি সমিতির সদস্যদের। ওই রাস্তার পাশের বেশ কয়েকটি করাতকলের মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীরাও গাছের দাম কম ধরা হয়েছে বলে মত দেয়।
তবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দরপত্র হয়েছে এবং সর্বোচ্চ দরদাতাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাছের মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে তাদের ভাগ পরিশোধ করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
90703e82-a85c-4f14-9266-1a9a5e61a551 | খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। আলোচনায় ঘটছে না অগ্রগতি। বকেয়া পরিশোধের দাবিতে অনড় শ্রমিকদের মিলে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আগে সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে, তারপর আন্দোলন প্রত্যাহার করবে বলে শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কোনো প্রতিশ্রুতিতে তারা আন্দোলন থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। শ্রমিক নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় সাধারণ শ্রমিকদের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার নেই।
গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, স্টার, ইস্টার্ন, খালিশপুর, দৌলতপুর, আলিম ও যশোরের জেজেআই জুটমিলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে এসব মিলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গত সোমবার রাতে খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিস্তর আলোচনা হলেও আন্দোলন প্রত্যাহারে অগ্রগতি ঘটেনি।
সংকট নিরসনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বিজেএমসি খুলনা জোনের প্রধান গাজী শাহাদাত হোসেন, ক্রিসেন্ট জুটমিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কালাম হাজারী, শ্রমিক নেতা সরদার মোতাহার উদ্দিন, সোহরাব হোসেন, হারুন অর রশিদ মল্লিক, এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, পাটজাত পণ্য বিক্রির টাকা হাতে পেলে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা হবে। তাই উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে শ্রমিকদের কাজে ফেরা দরকার বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক বা দুই সপ্তাহের অর্থ নিয়ে নিজ নিজ মিলের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানালে তা তাত্ক্ষণিক নাকচ হয়ে যায়। শ্রমিকরা এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। শ্রমিক নেতারা বলেন, সাধারণ শ্রমিকরা বকেয়া না পেয়ে কাজে ফিরতে চায় না। তাই আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
এদিকে গতকাল শ্রমিকরা পাটকলগুলোর সামনে সভা করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। আজ নগরীতে তারা লাল পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে।
শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
প্লাটিনাম জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকদের দেয়ালে পিঠ ঠিকে গেছে। তাই আন্দোলন ছাড়া কিছু করার নেই। বিজিএমসির ভুল পদক্ষেপের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলো ধংস হতে চলেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ চাই।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
2af1da8b-7710-4c57-8aa8-055462fb30fe | পাবনা সদরে মোশাররফ হোসেন ওরফে খোকন মৃধাকে (৫০) হত্যার দায়ে তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন পাবনা সদরের গোপালপুর এলাকার গোলাম মোহাম্মদের মেয়ে (খোকন মৃধার স্ত্রী) কুলসুম নাহার ওরফে বিউটি (৪৬), একই জেলার আতাইকুলা উপজেলার রানীনগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে (বিউটির পরকীয়া প্রেমিক) রুহুল আমিন (৪৭) এবং তাঁর সহযোগী একই গ্রামের মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে সোলেমান আলী (৪৫)। রায় ঘোষণার সময় শুধু কুলসুম নাহার বিউটি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি ঘটনার পর গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
নিহত মোশাররফ পাবনা সদরের টেকনিক্যাল মোড়ের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু সাংবাদিকদের জানান, টাকার ওপরে মোবাইল নম্বর পাওয়ার সূত্র ধরে এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা বিউটির সঙ্গে কথা হতো রুহুল আমিনের। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর ধরে চলা এ পরকীয়ার জেরে তাঁরা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের ‘পথের কাঁটা’ মোশাররফ হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী, ২০১১ সালের ৩০ জুন রাতে বিউটির পরকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিন তাঁর বন্ধু সোলেমান আলীকে নিয়ে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় মোশাররফের ভাড়া বাসায় যান। এরপর তাঁরা মোশাররফের ঘরে লুকিয়ে থাকেন।
মোশাররফ ঘরে ফিরলে গভীর রাতে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহ বস্তায় ঢোকানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে যায়। তখন রুহুল আমিন ও সোলেমান আলী পালিয়ে যান। তবে ওই রাতেই পাবনা সদর থানা পুলিশ মোশাররফের বাড়ি থেকে তাঁর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করার পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা হয়।
মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান রুমন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
505d01ac-14e3-4569-b29e-c68b77206656 | মন্ত্রিসভার প্রস্তাব অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে ব্যাংক কম্পানি আইন পাস করা হয়েছে। সংশোধিত আইনের বিধান অনুযায়ী বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারে চার সদস্য থাকার সুযোগ ও একটানা ৯ বছর পরিচালক পদে থাকার বিধান যুক্ত হয়েছে। ওই বিধানের কঠোর সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় সদস্যরা প্রস্তাবিত আইনকে ব্যাংক খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। তাঁরা বিল পাসের আগে তুমুল হট্টগোল করে অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলের ওপর বিরোধীদলীয় সদস্য মো. ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, নূরুল ইসলাম মিলন, বেগম রওশন আরা মান্নান ও স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোয় কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপনের পর অর্থমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে আপত্তি জানান। এ সময় বিরোধীদলীয় সদস্যরা বিলের ওপর আলোচনার জন্য আরো সময় চান। কিন্তু স্পিকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিল পাসের এই প্রক্রিয়ায় সময় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীদলীয় সদস্যরা। স্পিকার তাঁদের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানান। কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তাঁরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন। কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে বিরোধীদলীয় সদস্যরা বেরিয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিলটি পাস করা হয়।
এর আগে স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বিলের সমালোচনা করে বলেন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে ছিলেন। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের হাত থেকে অর্থ উদ্ধারে তিনি লড়াই করেছেন। কিন্তু সেই চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে এ আইনটি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
একটি পরিবারকে ব্যাংকের মালিক করা হচ্ছে দাবি করে মো. ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আইনটি পাস না করে প্রত্যাহার করা হলে আমরা খুশি হব। আর একই দলের নূরুল ইসলাম ওমর জনগণের স্বার্থে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন।’ বিশেষ মহলের চাপে আইন পাসের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানান নূরুল ইসলাম মিলন।
এদিকে পাস হওয়া আইনে একটানা ৯ বছর পরিচালক পদে থাকার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারতেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারেন। এ বিষয়ে সংশোধিত আইনে পরিচালকের মেয়াদসংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার পরে কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংক কম্পানির পরিচালক পদে একাধিক্রমে ৯ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। ৯ বছর পদে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হলে তিনি পরিচালক পদে পুনর্নিযুক্তির জন্য যোগ্য হবেন না।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
03f64971-7096-4b31-b6ca-fab5d915e873 | এক তরুণী তাঁর রোগের কথা জানাতে ওষুধের দোকানের পেছনের কক্ষে ডেকে নেন পল্লী চিকিৎসককে। রোগের বর্ণনা দেওয়ার একপর্যায়ে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে হাজির হয়ে যান পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবল। পুলিশের কাছে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
পুলিশ পল্লী চিকিৎসককে আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।
কিন্তু তরুণীকে রোগী সাজিয়ে নিরীহ ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায়ের এ অভিনব ঘটনা টের পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তারা ওই এএসআইসহ পুলিশের তিন সদস্যকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা প্রায় আধাঘণ্টা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কও অবরোধ করে রাখে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া নতুনবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ওই এএসআইয়ের নাম লুত্ফর রহমান। তিনি শ্রীপুর থানায় কর্মরত। পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবে পরিচিত ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে এএসআই লুত্ফর রহমান ও দুই কনস্টেবলকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাত প্রায় ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী বাজারের হাসান ফার্মেসিতে আসেন। সেখানে ওষুধ ব্যবসায়ী পল্লী চিকিৎসক হাসান মাহমুদের কাছে গিয়ে তিনি অসুস্থ বলে জানান। পরে রোগের কথা জানাতে দোকানের পেছনের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান হাসানকে।
হাসান মাহমুদ বলেন, দোকানের পেছনের কক্ষে যাওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরে তরুণীটি চিৎকার করে ওঠেন। তাত্ক্ষণিক ওই কক্ষে ঢোকেন এএসআই লুত্ফর রহমান ও দুই কনস্টেবল। তাঁরা তরুণীর কাছে চিৎকার করার কারণ জানতে চান। তরুণী তখন অভিযোগ করেন যে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন তিনি। পরে তাঁকে আটক করে দুই লাখ টাকা দাবি করেন এএসআই লুত্ফর।
বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম মিয়া বলেন, প্রতারণা করে টাকা আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে—এমনটি আঁচ করতে পেরে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা হাসান ফার্মেসির ভেতর ওই তরুণী, এএসআই লুত্ফর ও দুই কনস্টেবলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেই সঙ্গে তারা মহাসড়কও অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় জনতা।
সেলিম মিয়া অভিযোগ করেন, গত রবিবার রাতে এই তরুণীকেই রোগী সাজিয়ে একই কায়দায় পাশের ওষুধ ব্যবসায়ী এ বি এম মুসার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন এএসআই লুত্ফর রহমান।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d40e6d4e-3814-4a26-90f7-29dfe47a9d8c | ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও মালয়েশিয়ার পুত্রা বিজনেস স্কুলের মধ্যে গতকাল একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। তাতে সই করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম এবং পুত্রা বিজনেস স্কুলের ড. জুলকারনাইন ইউসুপ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গতকাল শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘স্প্রিং সেমিস্টার-১৮ অ্যাডমিশন ফেয়ার’। মেলা উদ্বোধন করেন ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজ্জম। মেলায় ভর্তীচ্ছুদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
ড্যাফোডিল পরিবার ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। তাতে আহছানিয়া মিশনের পরিচালক (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআরডি) কাজী আলী রেজা ও ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান সই করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ফার্মা ক্লাবের উদ্যোগে গত শুক্রবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আগাইর গ্রামে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মিলনায়তনে গতকাল ‘রিসার্চ গেটওয়ে অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং এডুকেশন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব গত বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের সরমুল গ্রামে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
54fd73ce-0e81-4468-ab1b-61fa87e258a3 | তীব্র শীত, ঘন কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়ায় রাজশাহীর পানের বরজগুলোতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। চাষিরা সর্বস্বান্ত হতে চলেছে এ প্রতিকূলতায়। শীতে ছোপ ছোপ দাগসহ পচন ধরছে বরজের পানে। একপর্যায়ে ঝরে পড়ছে পানপাতা। দ্রুত পান বিক্রি করতে গিয়েও বিপাকে চাষিরা। ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে কম; স্থানীয় বাজারে অর্ধেকেরও কম দামে পান বিক্রি করে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি তারা। গত এক সপ্তাহে পান চাষিরা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পবা, মোহনপুর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর ও চারঘাট এলাকায় এ বছর দুই হাজার ১৯৬ হেক্টর (১৬ হাজার ৩৪০ বিঘা) জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। পান চাষিরা জানায়, কয়েক দিন ধরে রাজশাহীতে টানা শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে পানবরজে। অধিকাংশ বরজের পানের পাতায় প্রথমে কালো দাগ দেখা দিচ্ছে। দু-এক দিন পর থেকে দাগওয়ালা পানগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছে মাটিতে। পচে যাচ্ছে পানপাতা ও শেকড়।
দুর্গাপুর উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রচুর পানের আমদানি। তবে পাইকারি ব্যবসায়ী কম। এতে করে পানের দাম নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। পান চাষিরা বলছিল, গত বৃহস্পতিবার তারা যে এক পোয়া পান (স্থানীয় হিসাব মতে ৬৪টি পানে হয় এক বিড়া, আর ৩২ বিড়ায় হয় এক পোয়া) বিক্রি করেছে পাঁচ হাজার টাকায়। একই পান পরদিন বিক্রি করা হয়েছে তিন হাজার টাকায়। মধ্যম মানের পান বিক্রি হচ্ছে আট-নয় শ টাকায়ও। এমনকি চার-পাঁচ শ টাকায় ছোট আকারের পান পাওয়া যাচ্ছে।
দুর্গাপুর দাওকান্দি গ্রামের রাশেদ হোসেন জানান, তিনি বৃহস্পতিবার এক পোয়া (৩২ বিড়া) পান বিক্রি করেছেন পাঁচ হাজার টাকায়। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে দামে ধস নামে। পরদিন একই পান বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকা দরে। চাষিরা অর্ধেক দামে পান বিক্রি করে ক্ষতি কমাতে চাচ্ছে।
আড়তদার রুহুল আমিন জানান, বিপুল পরিমাণ পান চাষ হয় দুর্গাপুর, পবা, মোহনপুর ও বাগমারায়। ফলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পানের হাট বসে। বরজে ব্যাপকহারে পান ঝরে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে চাষিরা সেই পান বাজারে আনছে। ক্রেতা কম থাকায় দামও কমে এসেছে। রাজশাহীর পান ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।
পবা উপজেলার বড়গাছী গ্রামের কয়েকটি পানবরজ ঘুরে দেখা যায়, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত গাছ মৃতপ্রায়। বরজের পান ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ে আছে। পাতাশূন্য অনেক গাছ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী এ বিষয়ে বলেন, চাষিদের পরামর্শসহ সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠকর্মীরা প্রতিনিয়ত চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অতিরিক্ত শীতের কারণে এক ধরনের রোগবালাই হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
dc2b25b7-53f5-4b93-925c-d5c7c6c4893b | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০১৮-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : বাসস
সমৃদ্ধির পথযাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উন্নত দেশ ও দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময়মতো অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এ জন্য উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আসন্ন সমস্যার প্রতি আরো মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোসহ ব্যক্তি খাতের অংশীদারিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।’
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মহাপরিচালক ও সিইও অব ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) সুলেমান জাসির আল হার্বিশ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই জ্যাং, জাপানের মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের উপমহাপরিচালক মিনরু মসুজিমা ও রেনজি তেরিংক, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। বৈদেশিক সম্পদ বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র পরিবেশিত হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ) একটি উচ্চপর্যায়ের ইভেন্ট, যেখানে সরকার ও তার উন্নয়ন অংশীদারদের নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য আরো অংশীদারি আবিষ্কার করতে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবারের মতো আগামী মার্চে ইউএনসিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনাসভায় বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা লাভ করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমকক্ষ হবে। তিনি বলেন, তবে এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে, যা গ্র্যাজুয়েশনের পর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যক্ষেত্রে প্রস্তুতির মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ এর প্রভাব মোকাবেলায় কৌশলগত প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বুকে একটি গতিশীল অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রত্যয় ও উপকরণ আমাদের রয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের এই বৈঠক দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যৌথ কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশকে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতাকে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি করে বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতাগুলো আংশিকভাবে পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা ও দক্ষতার সঠিক ব্যবহারের ফলে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নসহ রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম দুটি প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য এবং জেন্ডার বৈষম্য। আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে নারীর ক্ষমতায়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ জেন্ডার বাজেট প্রণয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় দেশ।
আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কারণে দ্রুত নগরায়ণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শহরে টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বড় বাসের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ র্যাপিড মাস ট্রানজিট, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেলভিত্তিক মাস ট্রানজিট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর এবং এনজিওগুলোকেও হাউজিং ও অন্যান্য সার্ভিস ডেলিভারি যেমন স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদির ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দারিদ্র্র্যের হার ১৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেই তাঁর সরকার কাজ করছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e2718c36-81ad-4370-bbe1-56ff37d52588 | ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে
রোহিঙ্গা ইসু্যুতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে তৃতীয় রাইসিনা সংলাপের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এর আগে গত অক্টোবরে ঢাকা সফরের সময়ও সুষমা স্বরাজ স্পষ্ট করে জানান, রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান নিহিত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়ে উত্থাপিত একাধিক প্রস্তাবে ভারত ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। মিয়ানমারের প্রত্যাশা ছিল ভারত ওই প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে ভোট দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল ভারত পক্ষে ভোট দেবে। শেষ পর্যন্ত ভারত ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকেই সমর্থন করেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের শুরুর দিকেই ভারত মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
বিবিসি জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগকে ভারত সমর্থন জানানোর আশ্বাস দিয়েছে। বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে গতকাল মাহমুদ আলী ও সুষমা স্বরাজের বৈঠকের পর ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, দুই দেশ জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে জোরালো আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা করে। গত অক্টোবর মাসে ঢাকায় যৌথ পরামর্শক কাউন্সিলের চতুর্থ বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়েও তারা আলোচনা করে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় ঘোষিত তৃতীয় ঋণরেখার আওতায় বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষ ১৪টি প্রকল্পের বিষয়ে একমত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সন্তোষ প্রকাশ করে এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। জবাবে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সমর্থন নিশ্চিত থাকবে।’ তিনি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ভারতের সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
c0794b56-ef89-47bc-ab3b-7ef4153cf990 | জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম এবং বে নেভিগেশন লিমিটেডের এমডি ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে করা এটি ৬১তম মামলা।
এর আগে ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহীমের বড় ভাই মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম, মোরশেদের স্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগর জাপার আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মামলা দুটিতে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, বে নেভিগেশন লিমিটেডের এমডি ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহীম পর্যাপ্ত জামানত না দিয়ে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১৩৭ কোটি ১৪ লাখ ছয় হাজার ৯৮৩ টাকা ঋণ নেন। শর্ত ভঙ্গ করে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ না করে সুদসহ ওই টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
এর আগে ২০১১ সালে ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহীমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্গো জাহাজ আমদানির জন্য ৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এলসি ঋণ সুবিধা অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংকের ওই শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ ছাড়াই মুখ্য প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক একক ক্ষমতাবলে বোর্ডে ঋণ প্রস্তাবনা উপস্থাপনের পর তা অনুমোদন করিয়ে নেন।
মামলার বিবরণে আরো বলা হয়, ওই ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে আমদানি করা জাহাজ ও প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ছাড়া সহায়ক জামানত নেই। জামানত দেওয়া জাহাজটি বর্তমানে অচল এবং এর নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স, বন্দরের পাওনা, জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করে অবশিষ্ট টাকা না থাকায় ব্যাংকঋণ পরিশোধ হচ্ছে না।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9892a5c3-e312-4fa1-a72c-4a72e2cc90bc | রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার ‘রুবি ভিলায়’ জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে চট্টগ্রামের নাফিস উল ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহর (১৬) পরিচয় শনাক্ত করার পর তার বাবাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। তবে নিহত তৃতীয়জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এর আগে শনাক্ত করা হয়েছিল কুমিল্লার মেজবা উদ্দিনকে। ঢাকায় র্যাব কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রামে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নাফিস চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার মুদি দোকানদার নজরুল ইসলামের ছেলে। সে ছিল চট্টগ্রাম নগরের কাজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। গত বছরের ৬ অক্টোবর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাবের প্রকাশিত ছবি দেখে নজরুল ইসলাম তাঁর ছেলেকে শনাক্ত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নাফিসকে খুঁজতে গিয়ে গত ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। ১০টি গ্রেনেডসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা সদরঘাট থানা উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার তথ্য জানায়। তাদের কাছ থেকে সদরঘাট থানার মানচিত্রও উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, তদন্তে তথ্য মিলেছে যে কৈশোরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে স্কুলছাত্র নাফিস। বাড়ি ছাড়ার পর আব্দুল্লাহ ছদ্মনাম নিয়ে জঙ্গি আস্তানায় ছিল সে।
র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে নাফিসের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাকে ছাড়া বড় হওয়া নাফিস একপর্যায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নাফিসের বাবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত। বাবাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। ছেলেটার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয় ১০ বছর আগে। এরপর তাঁরা অন্যত্র বিয়ে করেন। সে পালিত মায়ের কাছে থাকত।’
জানতে চাইলে র্যাবের অধিনায়ক বলেন, ‘নিহত অন্যজনের বয়সও একই রকম। সে চট্টগ্রাম নাকি অন্য এলাকার তা খোঁজা হচ্ছে।’ গত ১১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পশ্চিম নাখালপাড়ার ১৩/১ ঠিকানায় ছয়তলা রুবি ভিলার পাঁচতলার মেসে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন তরুণ নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একই ছবি থাকা দুটি পরিচয়পত্র উদ্ধারের পর পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় পড়ে র্যাব। তবে আঙুলের ছাপ যাচাই করে ১৪ জানুয়ারি র্যাব নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার যুবক মেজবা উদ্দিনের পরিচয় শনাক্ত করে। বাড়িটির মালিক ও মেজবার স্বজনসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। মেজবার প্রফাইল ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া দুটি ছবি প্রকাশ করে র্যাব পরিচয় জানতে চায়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই ছবির বাঁ পাশে থাকা নীল রঙের প্রিন্টের শার্ট পরা কিশোরই নাফিস। ওই দিন রাতেই নাফিসের বাবা নজরুল ইসলাম নিজেই ছবি দেখে সন্তানকে শনাক্ত করেন।
চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত উপকমিশনার এ এ এম হুমায়ুন কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে একটি ছবি পাঠিয়ে তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছিল। পরে আমরা নাফিসের বাবা নজরুল ইসলামকে সন্তানের ছবি দেখাই। তিনি ছবি শনাক্ত করেন।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ নাফিসের বাসা থেকে আরো একটি ছবি সংগ্রহ করে। ছবিটি পরে ঢাকায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে দেওয়া হয়। নাফিসদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কানাইমাদারী গ্রামে। তবে তারা সপরিবারে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়কের অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর বাসার তৃতীয় তলায় থাকত। গত ৬ অক্টোবর বাসা থেকে স্কুলে গিয়ে আর ফেরেনি নাফিস। পরদিন ৭ অক্টোবর তার বাবা নজরুল ইসলাম চকবাজার থানায় একটি জিডি করেন।
চট্টগ্রামের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, তদন্তের একপর্যায়ে উত্তরাঞ্চলের একাধিক জেলায় নাফিসের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর তার গতিবিধি অনুসরণ করতে করতে পুলিশ গত ১ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার মাদারবাড়ী বালুর মাঠের পাশে মিনু ভবনের পাঁচতলায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায়। ওই আস্তানা থেকে ১০টি গ্রেনেডসহ আশফাক ও রাকিবুল হাসান ওরফে সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী ওরফে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন পুলিশ জানতে পারে, পলাতক নাফিসের ছদ্মনাম আব্দুল্লাহ। তাকে ধরতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার প্যারেড মাঠসংলগ্ন নিজের মুদি দোকান চালান নাফিসের বাবা নজরুল ইসলাম। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর নাফিসের দুজনের কাছ থেকেই দূরে থাকত।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9e42d1b8-d21d-4095-8f59-32c5e2ede4a9 | জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার শেষের পথে। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলেই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বিচারাধীন এ মামলার বিচারকও ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মামলার বিচারকাজও চলছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে। একই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন গত বৃহস্পতিবার। ওই রায়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির মাধ্যমে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এক দিনেই শুনানি শেষ করে। এরপর আসামিপক্ষে শুনানি চলছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যুক্তিতর্ক শুনানিই বিচারের শেষ ধাপ। এর পরই ঘোষণা করা হয় রায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল কালের কণ্ঠকে জানান, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা শেষের পথে। বর্তমানে যুক্তিতর্ক শুনানি চলছে। এর পরই ঘোষণা করা হবে রায়। জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করতে দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ মামলায়ও একই রকম সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে মার্চে বা এপ্রিলে ওই রায় ঘোষণা হতে পারে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৫ সালের ৪ মে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ২০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব এবং বিআইডাব্লিউটিএর সাবেক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী বর্তমানে পলাতক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার পরও তিনি ওই ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি হিসেবে থেকেছেন। সেখানে তাঁর পদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। এই ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাসাটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংকের শাখায় ট্রাস্টির অনুকূলে অ্যাকাউন্ট খোলেন খালেদা জিয়ার নিজের নামে। ওই অ্যাকাউন্টেও তিনি নিজের পদের নাম গোপন রাখেন। সরকারি কর্মচারী হয়েও তিনি পদ গোপন করে ব্যক্তিগত নামে ট্রাস্টি কার্যক্রম চালিয়ে ট্রাস্টি আইন লঙ্ঘন করেছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে ট্রাস্টের নামে টাকা সংগ্রহ করেছেন। এই টাকার কোনো উৎস নেই। ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেছেন একক স্বাক্ষরে। আবার খরচও করেছেন। খরচেরও কোনো উৎস নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টি পরিচালনা করতে গিয়ে অন্যান্য আসামির যোগসাজশে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করে নিজে লাভবান হয়েছেন, অন্য আসামিদেরও অবৈধভাবে লাভবান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
207de901-65b9-4d89-b485-4a953f29d428 | কোরবানির হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও গতকাল রবিবার পর্যন্ত বেচাকেনা তেমনভাবে জমেনি, এমনকি দামও চড়া-ই রয়েছে। শেষ দুই দিনের আশায় বিক্রেতারা বসে আছে, আবার ক্রেতারাও হাটে ভিড়ছে কম। অনেকেরই ধারণা, এবার গরুর সরবরাহ বেশি থাকায় শেষ দিনে দাম কম থাকতে পারে। আবার শহর এলাকায় গরুর রক্ষণাবেক্ষণও ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় আগেভাগে গরু না কেনার পক্ষেই বেশির ভাগ মানুষ। তবে অনেকে গরু না কিনলেও গত দুই-তিন দিনে হাটে হাটে ঘুরে দামদর দেখেছে। যদিও আজ সোমবার থেকে কেনাবেচা জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শুধু ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরের হাটগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুর মহানগরীর পশুর হাটগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। দুটি স্থায়ী ও ২০টি অস্থায়ী মিলিয়ে গাজীপুর মহানগরীতে পশুর হাট বসেছে ২২টি।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের হোসেন আলী জানান, ২৫টি গরু নিয়ে শনিবার গাজীপুরে আসেন। এর মধ্যে ১৫টি বড় আকৃতির। বাকিগুলো মাঝারি। এ পর্যন্ত যে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে তার সবই মাঝারি। তিনি বড় গরুর প্রতিটি দুই লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন। ক্রেতা ৫৫-৬০ হাজার করে দাম করছে।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন জেলা থেকে দিনে ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাকভর্তি গরু আসছে। বেচাকেনা যা হচ্ছে তার বেশির ভাগই মাঝারি আকৃতির। মিয়ানমারের গরুও দেখা যায় বিভিন্ন হাটে।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান জানান, কুমিল্লায় এবার ২৮৫টি কোরবানির পশুর হাট। পশুর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার। মজুদ রয়েছে তিন লাখ চার হাজার ১৩৬টি। ইতিমধ্যে জেলার বাইরে থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে ৫০ হাজারেরও বেশি কোরবানির গরু এসেছে।
নাটোরের দেশীয় খামারিদের গরু-খাসিতে ভরে গেছে জেলার ১৩টি কোরবানির পশুর হাট। এবার ভারতীয় গরুর তেমন আমদানি না থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় এসব গরু।
পাবনায় চতুর বাজার ও নাকালিয়া গরুর হাটে দেশি গরুর আমদানি কয়েক গুণ বেশি। ফলে অনেক গরু অবিক্রীত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিক্রেতারা। হাটে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
বরিশালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর পশুর হাটগুলো। তবে বিক্রি গতকাল পর্যন্ত তেমন জমে ওঠেনি।
ময়মনসিংহে আজ (সোমবার) থেকে শহরের সার্কিট হাউস মাঠে গরুর হাট পুরোপুরি জমে উঠবে। গতকাল রবিবার বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, গরু-খাসি নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছে। ক্রেতাও আছে, তবে কেনাবেচা কম।
প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা, আঞ্চলিক প্রতিনিধি পাবনা, নাটোর ও রাজবাড়ী এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল অফিস।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
6d0bf8b6-088d-4349-b1b2-62c2eb28f3b5 | জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার শেষের পথে। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলেই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বিচারাধীন এ মামলার বিচারকও ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মামলার বিচারকাজও চলছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে। একই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন গত বৃহস্পতিবার। ওই রায়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির মাধ্যমে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এক দিনেই শুনানি শেষ করে। এরপর আসামিপক্ষে শুনানি চলছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যুক্তিতর্ক শুনানিই বিচারের শেষ ধাপ। এর পরই ঘোষণা করা হয় রায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল কালের কণ্ঠকে জানান, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা শেষের পথে। বর্তমানে যুক্তিতর্ক শুনানি চলছে। এর পরই ঘোষণা করা হবে রায়। জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করতে দেড় মাস সময় লেগেছিল। এ মামলায়ও একই রকম সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে মার্চে বা এপ্রিলে ওই রায় ঘোষণা হতে পারে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৫ সালের ৪ মে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ২০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব এবং বিআইডাব্লিউটিএর সাবেক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী বর্তমানে পলাতক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার পরও তিনি ওই ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি হিসেবে থেকেছেন। সেখানে তাঁর পদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। এই ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাসাটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংকের শাখায় ট্রাস্টির অনুকূলে অ্যাকাউন্ট খোলেন খালেদা জিয়ার নিজের নামে। ওই অ্যাকাউন্টেও তিনি নিজের পদের নাম গোপন রাখেন। সরকারি কর্মচারী হয়েও তিনি পদ গোপন করে ব্যক্তিগত নামে ট্রাস্টি কার্যক্রম চালিয়ে ট্রাস্টি আইন লঙ্ঘন করেছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে ট্রাস্টের নামে টাকা সংগ্রহ করেছেন। এই টাকার কোনো উৎস নেই। ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেছেন একক স্বাক্ষরে। আবার খরচও করেছেন। খরচেরও কোনো উৎস নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টি পরিচালনা করতে গিয়ে অন্যান্য আসামির যোগসাজশে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করে নিজে লাভবান হয়েছেন, অন্য আসামিদেরও অবৈধভাবে লাভবান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
4d05c663-d85c-4fbe-b0d0-694c0cb06417 | বিদেশে রপ্তানি করতে এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে চায় সরকার। উৎপাদন বাড়াতে বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামের প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। প্রকল্পটি নিয়ে এরই মধ্যে কয়েক দফা আন্ত মন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে। শিগগিরই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠতে পারে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি দেশের ২৯ জেলার ১৩৪ উপজেলায় বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে, অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে এবং ‘মৎস্য সংরক্ষণ আইন’ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তাঁদের মতে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে না পারলে আসলে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হবে। তাই তাঁদের প্রধান টার্গেট থাকবে মানুষকে বেশি করে বোঝানো।
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রম রয়েছে। সেগুলো হলো চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১০০ কিলোমিটার, ভোলার মদনপুর থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া-ভেদরগঞ্জ উপজেলা অংশে পদ্মার ২০ কিলোমিটার। এর পাশপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকা, ভোলার তজুমুদ্দিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকাও ইলিশের প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রজনন মৌসুমে এসব অভয়াশ্রমে মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ওই সব অভয়াশ্রম থেকে জেলেরা জাটকা ইলিশ ধরছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা গতিশীল করতে বেশ কিছু কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হবে। জেলেদের মাধ্যমে ‘আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। জাটকা আহরণকারী ৪০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান জোরদার করা হবে, যাতে জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তখন স্বাভাবিকভাবে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গত ৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইলিশ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, পাচার ঠেকাতে বৈধভাবে ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
মন্ত্রী ওই দিন বলেন, সরকার ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখলেও অবৈধভাবে তা পাচার হচ্ছে। এতে রাজস্ব থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ইলিশ রপ্তানি করি, তাহলে ওপেন পথটা করে দেওয়া যায়, গোপনে যাওয়ার পথটা তখন অনেকটা সংকুচিত হয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১ আগস্ট থেকে ইলিশসহ সব মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে আবার ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইলিশ ছাড়া অন্য সব মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আবার ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় যেসব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে, সেগুলো হলো সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে দেড় হাজারটি। মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে প্রায় ১৭ হাজার অভিযান চালানো হবে। ১৩৪ উপজেলায় আয়োজন করা হবে প্রায় আড়াই হাজার জনসচেতনতা সভার। বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে দেড় শতাধিক। ৪০ হাজার জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকছে এই প্রকল্পের আওতায়।
তবে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর আগে জেলেদের জন্য নেওয়া একটি প্রকল্পে সঠিকভাবে জেলে চিহ্নিত করা যায়নি। পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রকল্পে যাতে সেই ধরনের অনিয়ম না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মাছ উৎপাদিত হয় তার ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে ইলিশের উৎপাদন ১ শতাংশ। গত অর্থবছরে পাঁচ লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে। বিশ্বের মোট ইলিশের ৭৫ শতাংশ আহরণ হয় বাংলাদেশ থেকে।
রুপালি ইলিশের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। গত বছর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ। ফলে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ইলিশের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে বলে আশাবাদ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
eed632bd-082b-4cf4-8c6c-c0b31e06652d | প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির কর্মসূচি থেকে ডিবি পুলিশ এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় টানাহেঁচড়ার শিকার হন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : কালের কণ্ঠ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি চলছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। ওই কর্মসূচি শেষ হওয়ার ১৩ মিনিট আগে ১১টা ৪৭ মিনিটে শুরু হয় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান।
ওই কর্মসূচি থেকেই টানাহেঁচড়া ও চ্যাংদোলা করে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আঁকড়ে ধরেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি তিনি। বরং অন্যরা বাধা দিতে গেলে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি।
এ ঘটনায় আগামীকাল শনিবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি জানিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, একেবারেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তাঁরা (পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা) অনুপ্রবেশ করে পরিকল্পিতভাবে বানচাল করে দিচ্ছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে ভেঙে দিচ্ছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। তারা কর্মসূচির ভেতরে ঢুকে থাকে, পাশাপাশি থাকে, স্লোগান দেয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিয়ে। তার পরে তারা (পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা) নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে। বেছে বেছে নেতৃস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি এসব ঘটনার নিন্দা জানান।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১১টা ৪৭ মিনিটে কর্মসূচির পশ্চিম দিক থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে ধরতে গেলে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রেস ক্লাবের গেটের দিকের ফুটপাতে বসে থাকা সিনিয়র নেতাদের কাছে চলে আসেন। মির্জা ফখরুলসহ উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের আঁকড়ে ধরে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে অনেকটা জোর করে চ্যাংদোলা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় রাজকে। টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে তার গায়ের জামা ছিঁড়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলা হয়।
এর আগে রাজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। অন্য নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে যায়। শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। এরই মধ্যে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ধাক্কাধাক্কিতে রাস্তায় পড়ে যান কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
ওই সময়ে দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি মাইকে বলছিলেন, ‘পুলিশ ভাইয়েরা আপনারা এসব কী করছেন। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে দিন।’
নেতাকর্মীদের দৌড়াদৌড়ির মধ্যে মাইক নিয়ে বিএনপির মহাসচিব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি, নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে সভা পণ্ড হওয়ায় সিনিয়র নেতাসহ কর্মীরা ওই এলাকা ত্যাগ করে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেভাগেই কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে চলে আসে। তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। রাখা ছিল জলকামান, এপিসি কার ও প্রিজন ভ্যান।
প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাত ও সংলগ্ন সড়কে ব্যানার হাতে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে অবস্থান কর্মসূচি সমাবেশে রূপ নেয়। পুলিশ এক পাশের সড়কের মাঝখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।
পণ্ড হওয়ার আগে কর্মসূচিতে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কামরুজ্জামান রতন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, কাজী আবুল বাশার, আফরোজা আব্বাস, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুনুর রশীদ, ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার খন্দকার লুত্ফর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
এ ছাড়া আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মাহবুবুল হাসান পিংকু, ডা. সালাহ উদ্দিন মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে। ব্যালটের মাধ্যমে অপশাসনের পতন ঘটানো হবে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সব ‘গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল’কে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, এতে বোধ হয় সরকারের গাত্রদাহ হয়েছে। সে জন্য তারা (পুলিশ) উসকানি দিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করে পরিকল্পিতভাবে বানচাল করে দিচ্ছে।’
রাজকে গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিভাবে তাকে কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে গলা টিপে ধরে গাড়িতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। যেভাবে রাজকে তুলে নেওয়া হয়েছে, তা কোনো স্বাধীন দেশে পুলিশ নিয়ে যেতে পারে এটা আমরা ধারণা করতে পারি না।’ গত এক মাসে দলের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমানসহ সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান ফখরুল।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
bd514e06-0697-434e-bdae-89b5ab662bb9 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। ছবি : পিআইডি
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দক্ষতার সঙ্গে বিপুল সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে আমরা অর্জন করেছি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বিশাল এক সমুদ্র এলাকা। এই বিস্তৃত সমুদ্রসম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে নৌবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের ব্লু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আপনারা অর্পিত দায়িত্ব সফল ও নিরাপদভাবে পালন করবেন।’
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির বানৌজা ঈসা খান প্যারেড গ্রাউন্ডে বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএন ডকইয়ার্ড আন্তর্জাতিক মান (আইএসও : ৯০০০) বজায় রেখে যুদ্ধজাহাজের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে ডকইয়ার্ডের নিজস্ব ফ্লোটিং ডক ‘বিএনএফডি সুন্দরবন’ ও বিএন স্লিপওয়ে এক হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি যুদ্ধজাহাজের সফল ডকিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব জনবল, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা ব্যবহার করে এই ডকইয়ার্ড সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধজাহাজগুলোকে নৌবাহিনীতে দীর্ঘকাল অপারেশনাল রাখছে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএন ডকইয়ার্ডের এ অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হলো, যা নৌবাহিনীর ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। বিএন ডকইয়ার্ডের এ কৃতিত্বের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
সরকারপ্রধান আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডপ্রাপ্ত বিএন ডকইয়ার্ড আরো কার্যকরভাবে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ডকইয়ার্ডে পৌঁছলে তাঁকে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং ডকইয়ার্ডের কমোডর সুপারিনটেনডেন্ট কমোডর মনিরুল হক স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিএন ডকইয়ার্ডের কমার্ন্ডিং অফিসার ইমতিয়াজ উদ্দিনের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
খেলোয়াড় তসলিম শেখের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী : এদিকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় তসলিম শেখের চিকিৎসার খরচ এবং অন্যান্য পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে তাঁকে সহায়তায় ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন জানান, নাটোরের লালপুরে বসবাসরত তসলিম শেখ ১২ বছর ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর হাতে এই সহায়তার চেকটি তুলে দেন। সূত্র : বাসস।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a1a33a23-f5f8-4aa0-a481-e9a5e323e763 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সৌদি আরবে যৌথ সামরিক মহড়ার সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। ছবি : বাসস
সৌদি আরবে গতকাল সোমবার এক যৌথ সামরিক মহড়ার সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে স্থানীয় সময় গতকাল বিকেলেই লন্ডনের উদ্দেশে তাঁর সৌদি ত্যাগ করার কথা।
সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল-জুবাইলে ‘গালফ শিল্ড-১’ শীর্ষক ওই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছার পর শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান সৌদি বাদশাহ। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় বন্ধু দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সমন্বয় ও সহযোগিতায় সৌদি আরব মাসব্যাপী এ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। বাদশাহ সালমান বন্ধু দেশগুলোর বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
সামরিক মহড়ার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল সুবাইয়ে জানিয়েছেন, ২৪টি দেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অংশগ্রহণে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মহড়ার আয়োজন করে। এ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাংলাদেশ, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, মিসর, জর্দান, সুদান, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, শাদ, জিবুতি, নাইজার, কমরোস, আফগানিস্তান, ওমান, গায়ানা, তুরস্ক ও বুরকিনাফেসো যোগ দিয়েছে।
গত ১৮ মার্চ এই মহড়া শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা ও এতে ব্যবহৃত অস্ত্রের গুণগত মানের নিরিখে এটিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহত্তম সামরিক মহড়া হিসেবে গণ্য করছেন।
মুখপাত্র বলেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এমন বৈরী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে যৌথ সামরিক যুদ্ধাভিযান পরিকল্পনার ধারণা কার্যকর করা হচ্ছে এই মহড়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সৌদি আরব থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী সৌদি সরকারের একটি বিশেষ বিমান স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিট) বাদশাহ আবদুল আজিজ বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। গতকাল রাতেই লন্ডনে পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। সূত্র : বাসস।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ddf16228-03fa-45d8-b0de-566f345fce6d | রিহাম আফসানা চামেলী। নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিল। মেধা-স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা এই ছাত্রী এখন বিছানায়। প্রায় ৩০ মাস ধরে সে লড়ই করছে মৃত্যুর সঙ্গে।
এখন তার সব চলা থেমে গেছে। ভুবনের আলো দেখে উদ্দীপ্ত হওয়া তার দুই চোখে এখন কিছুুই দেখে না। অসাড় শরীর চলতে পারে না।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কবিরহাট-বসুরহাট সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় চামেলীর জীবন এমন হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে দরকার কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকা।
চামেলীর বাবা ভিটেমাটি, দোকানঘর বেচে দিয়েছেন মেয়েটিকে বাঁচিয়ে তুলতে। তাঁর আয়-রোজগারের পথও বন্ধ। মা-বাবাকেও যে এখনো মেয়ের পাশেই বসে থাকতে হয়!
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় ২১ মাস থাকতে হয়েছে। নাকে নল দিয়ে খাবার ও ওষুধ খেতে হয়েছে। অক্সিজেন ছিল টানা ২১ দিনের সঙ্গী। হাসপাতালে শয্যায় পড়ে থাকতে হয়েছে বাবা ও মাকে। চট্টগ্রাম হাসপাতাল থেকে সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করা হয়েছিল। এর পরও সারেনি মেয়ের অসুস্থতা।
রোগশয্যায় শুয়ে মেয়ের কান্না অনুভব করেন তার বাবা মিজানুর রহমান, মা জিন্নাতুননেছা। বাবা মিজানুরের চোখ ছলছল—মেয়েকে সারিয়ে তুলতে পারবেন তো? এখন চামেলী সাভারের বেলা স্পেশাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে রয়েছে। রিহাম আফসানাকে সারিয়ে তুলছে তার বাবা বিক্রি করেছেন আয়ের একমাত্র উৎস দোকান, বাড়ি। এখন মেয়ের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অর্থের।
চিকিৎসকরা বলেছেন, বিদেশে পাঠালে মেয়েটি তার জীবনের অসাড়ত্ব ঘুচাতে পারবে। বাবা মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে চামেলী থুঁতনি, দাঁত, বাঁ হাত ও মাথায় আঘাত পেয়েছিল। শরীর অবশ হয়ে আছে। চোখে দেখতে পায় না। প্রতি মাসে কমপক্ষে মেয়ের সাধারণ চিকিৎসা খরচ দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। মেয়েকে সারিয়ে তুলতে হলে চিকিৎসা সহায়তার জন্য সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা চেয়েছেন মিজানুর রহমান। সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা—মিজানুর রহমান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বসুরহাট শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর : ১৬৬১১০৮৬০৫। বিকাশ-পার্সোনাল নম্বর : ০১৮৩৩৫৭৭২৫৪।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0b208c26-5602-4b2d-a637-acfc4b89f6d1 | ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নয় বরং সরকার ও জনগণের আচরণ দেখে দলের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন লন্ডন সফররত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলায় প্রচারিত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো দাবি করেন, বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রচারণা সম্পূর্ণ অমূলক। ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ বিএনপি করেছে বলে তাঁর জানা নেই। বিবিসি বলেছে, বিএনপি তাদের সম্পর্কে ভারতের নেতিবাচক ধারণা দূর করার চেষ্টা করছে। ভারতের প্রভাবশালী কিছু নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার সময় বিএনপি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
বিবিসি বাংলা : নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ঠিক কী ধরনের সহযোগিতা ভারতের কাছে প্রত্যাশা করছে?
মির্জা ফখরুল : আমরা যা চাই ভারতের কাছে তা হলো বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। ২০১৪ সালে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার আমরা চাচ্ছি, তারা যেন ভোট দিতে পারে। সে জন্য প্রভাবশালী দেশ যারা আছে, বিশেষ করে ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে এবং তাদের যথেষ্ট যোগাযোগ আছে বাংলাদেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে। সেখানে অবশ্যই ভারত একটি ভূমিকা রাখতে পারে।
বিবিসি : কিভাবে ভারত সাহায্য করতে পারে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে?
ফখরুল : কোনো দেশ যখন বড় হয়, যখন তাদের ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাব) থাকে একটি দেশের প্রতি, বিভিন্ন ট্রেড (বাণিজ্য), রিজিওনাল (আঞ্চলিক) ব্যাপারগুলোতে, রাজনীতির ব্যাপারে, সে ক্ষেত্রে ডেফিনিটলি (অবশ্যই) তারা বলতে পারে গভর্নমেন্টকে (সরকারকে) যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা করো।
বিবিসি : ভারত কেন তা করবে? কারণ আপনি জানেন যে ৯ বছর ধরে এই সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। বিশেষ করে, নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের যেসব উদ্বেগ ছিল আওয়ামী লীগ সেগুলো দূর করেছে। ভারতের বড় অংশের ভেতর একটি উদ্বেগও আছে যে বিএনপি গতবার যখন ক্ষমতায় ছিল তারা ভারতের স্বার্থবিরোধী অনেক কাজ করেছে।
ফখরুল : এই সন্দেহটি সম্পূর্ণ অমূলক। কারণ বাংলাদেশে বিএনপি সরকার কখনো ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেছে বলে আমার জানা নেই। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে তাদের একটি গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন একটি সরকার তাদের জন্যই খুব প্রয়োজন।
বিবিসি : শুধু প্রচার নয়, বিভিন্ন সময়ে যেসব বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে সেখানে তারা পুরোপুরি কতগুলো বিষয় বলার চেষ্টা করে যে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ভারতের উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখানে আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছে। আপনারা জানেন, দশ ট্রাক অস্ত্র ইস্যু একটি সেনসেটিভ (স্পর্শকাতর) ইস্যু ভারতের কাছে। সেসব বিষয় হয়েছে তখন।
ফখরুল : এ বিষয়গুলো, যেসব ঘটনা উঠে এসেছে সেগুলোর কতটুকু সত্যি, কতটুকু সত্যি নয় এবং কতগুলো তৈরি করা—এটি কিন্তু এখনো পরিপূর্ণভাবে আমরা জানি না।
বিবিসি : কিন্তু যে সন্দেহ-উদ্বেগ তাদের ভেতরে আছে সেটা কতটুকু পারসেপশন কতটুকু ফ্যাক্ট, সেটি বাদ দিয়েই যদি আমরা বলি, সেটি দূর করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল কি আপনাদের আছে?
ফখরুল : অবশ্যই আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি যে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক হবে, যে পররাষ্ট্রনীতি হবে সে সম্পর্কে আমরা এটি পেপারও দিয়ে দিয়েছি। সেখানে আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, ‘উই উইল হ্যাভ জিরো টলারেন্স অ্যাবাউট অ্যানি ইনসারজেন্সি ইনসাইড বাংলাদেশ’। তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমরা স্পষ্ট বলেছি, তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। স্পেস থাকবে না। এটি আমরা যদি সরকারে যাই, আমরা সবাইকে নিশ্চিত করব।
বিবিসি : আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ, কারাগারে এবং অসুস্থতার কথা আপনারা ক্রমাগত বলছেন। সরকার সে কথা খুব গা করছে, আমাদের মনে হচ্ছে না সেটা। তিনি যে ছাড়া পাবেন আমরা অন্তত সে ইঙ্গিত পাচ্ছি না। আপনারাও হয়তো পাচ্ছেন না। এখন তাঁকে ছাড়া নির্বাচনের পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় সেখানে আপনাদের অবস্থান কী?
ফখরুল : বেগম জিয়াকে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মনে করে বর্তমান সরকার এবং প্রতিপক্ষ মনে করে বলেই তাঁকে নির্বাচন থেকে, রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার বড় প্রচেষ্টা সব সময় আছে। ওয়ান-ইলেভেনেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তাঁকে একটি মিথ্যা মামলায়, তৈরি করা সাজানো মামলায় যেভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সাজাটাও যদি ধরে নেওয়া যায় তাহলে পাঁচ বছরের যেকোনো সাজা আপিল করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জামিন হয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা এখানে হয়নি। আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রাইসিসটা ওই জায়গায়। এই সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলছে; এমনকি জুডিশিয়ারিতেও তারা হাত দিচ্ছে। এ কথাই আমি বলতে চাই আপনার উত্তরে। তাঁকে বের হতে না দিলে আরো সমস্যা তৈরি হবে।
বিবিসি : কিন্তু মানুষের মনে এটিই প্রশ্ন—তিনি যদি বের না হতে পারেন এবং তিনি যদি নির্বাচন করতে না পারেন, তাঁর নেতৃত্বে যদি নির্বাচন করতে না পারে বিএনপি, বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে?
ফখরুল : বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেত্রী, অবিসংবাদিত নেত্রী। তিনি জেলেই থাকুন আর বাইরেই থাকুন, তিনিই নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের, গণতন্ত্রকামী মানুষের নেত্রী এবং তিনি যেখানেই থাকুন না কেন এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচনে যাব কি যাব না সেটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। নির্ভর করবে দেশের মানুষের আচরণের ওপর। তাই এখনই, এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
990a2486-bce1-46b1-8980-a824b2bea248 | যানজট নিরসনে রাজধানীতে দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার। গতকাল রবিবার সকালে জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পাতাল রেলের রুট হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য বেগম পিনু খান। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, এমআরটি লাইন-১-এর জন্য স্টেশন থাকবে ১৭টি। যেসব জায়গায় স্টেশন থাকবে সেগুলো হলো বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, নদ্দা (যমুনা ফিউচার পার্ক), নতুনবাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর এবং কুড়িল, বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল।
মন্ত্রী আরো জানান, রাজধানীর যানজট নিরসনে ও বৃহত্তর ঢাকার পরিবহনব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে মেট্রো রেল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই মেগা প্রকল্পটি পাঁচটি রুটের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা দেবে। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-৬-এর কাজ আটটি প্যাকেজের আওতায় চলছে। এ ছাড়া আরো দুটি এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সমীক্ষার কাজ চলছে।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এখন চলছে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ জুন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকারের গৃহীত মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সড়কে মৃত্যু ঠেকাতে প্রচলিত ট্রাফিক আইন পরিবর্তন করে যুগোপযোগী ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অন্য প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মেট্রো রেল প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তিনি জানান, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
36a8b842-ff53-4121-bd2d-c8693e9cf218 | ফরিদপুর ও বরিশালে পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পানিতে ডুবে গতকাল রবিবার মৃত্যু হয়েছে এক পরিবারের তিন শিশুর। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। অন্যদিকে বরিশাল উজিরপুরে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই কিশোরের। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। শনিবার বিকেলে তারা গোসলে নেমে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ফরিদপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ভাঙ্গা উপজেলায় পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জিমি (৮), সাজ্জাদ (২) ও মিম (৭) নামে তিন শিশুর। তারা একই পরিবারের। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শিশু সাজ্জাদ পানিতে পড়ে গেলে অন্য দুজন উদ্ধার করতে যায়। তারাও পানিতে ডুবে যায়। স্বজনরা দ্রুতই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও কাউকে বাঁচানো যায়নি। নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী গ্রামের মাতুব্বর বাড়ির পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত মিম কাঁঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা বাশার মাতুব্বর। জিমি সদরপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনে নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবার নাম জমির মাতুব্বর।
স্বজনরা জানায়, ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই শিশু ও ৪৫ মিনিট পর আরেক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তাদের দ্রুত নেওয়া হয় সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল অফিস জানায়, উজিরপুরে গুঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সের পুকুর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছে দুই কিশোরের লাশ। মৃত রাহাত বিশ্বাস (১৫) চেংগুড়িয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন টিটু বিশ্বাসের ছেলে। অন্যজন রুম্মান (১৬) একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারা দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রাহাত ও রুম্মান মসজিদের পুকুরে গোসল করতে নামে। দীর্ঘক্ষণ পুকুরের পানিতে ডুবোডুবির একপর্যায়ে রাহাত নিখোঁজ থাকে। তখন রাহাতকে খুঁজতে গিয়ে ঘাটলার নিচে রুম্মান আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিয়া পৌঁছে সন্ধ্যায় মসজিদের ঘাটলার নিচ থেকে রুম্মান ও রাহাতকে উদ্ধার করে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e55bb46c-d121-4657-a7fc-31e3b1b8f494 | রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে রেলপথ সংযুক্ত হওয়ায় গোটা জাতি উল্লসিত। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে পদ্মা হয়ে ফরিদপুর অংশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর জেলা সংযোগ হবে।
গতকাল রবিবার সকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মুজিবুল হক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা।
সরকারি দলের সদস্য মুহম্মদ মিজানুর রহমান জানান, রেলওয়ের উন্নয়নে দ্রুতগতিতে কাজ করছে সরকার। রেলের যাত্রীও বাড়ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে যেখানে ছয় কোটি ৪৯ লাখ যাত্রী রেলে যাতয়াত করেছিল, সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে সাত কোটি ৭৮ লাখ। তিনি আরো জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেলযাত্রী ছিল ছয় কোটি ৭৩ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় সাত কোটি আট লাখে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের মানুষকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য পরিবহনসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো জানান, রেলওয়েকে ঢেলে সাজাতে সরকার ২০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারা দেশে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪৯ কিলোমিটার রেলপথে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা বেড়েছে।
মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিটেইল ডিজাইন প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই রেল সেতু নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। তিনি আরো জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রতিবেদন অনুযায়ী রেলপথ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
39fc9b30-b0e3-49c7-b6ee-15f2cd313a39 | বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। রাজধানীসহ সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে গতকাল রবিবার কক্সবাজার উপকূলে কমপক্ষে ১৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। নৌকাডুবিতে একজন জেলে মারা গেছে এবং আরো শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ জেলে।
গত শুক্রবার সকালে সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে নিম্নচাপে রূপ নিয়ে গতকাল সন্দ্বীপ ও তত্সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করায় সোমবার মধ্যরাতে এর উপকূল অতিক্রম করার কথা। নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীতে অভ্যন্তরীণ রুটে ৬৫ ফুটের নিচে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। নিম্নচাপের কারণে আজ সোমবার সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব তথ্য দিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি মধ্যরাতে সীতাকুণ্ডের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকছে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জ্যৈষ্ঠর বিদায়বেলায় দেশে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছিল তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি ঝড়ায়। রোদের প্রখরতা কিছুটা কমেছে। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। গতকাল ঢাকায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৭৩ মিলিমিটার। অতি বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাঙামাটিতে ৫০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামে ৪৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি আর ঢাকায় ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া এবং বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
কক্সবাজারে নৌকা ডুবে জেলের মৃত্যু : কক্সবাজার জেলা মাছ ধরা নৌকা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোসতাক আহমদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে গতকাল ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সাগরের সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবেছে। নৌকাডুবিতে একজন জেলে মারা গেছে। উদ্ধার করা শতাধিক জেলের মধ্যে ১৩ জনকে আহতাবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে চলাচলকারী দুটি স্পিডবোটও ডুবেছে। তবে যাত্রীরা সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, ঝড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া আবদুস শুক্কুর কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী এলাকার অছিউর রহমানের ছেলে। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে গতকালের টানা বর্ষণে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের লম্বাশিয়া, ডি-৪, কিউকিউ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অর্ধশতাধিক বসতি ধসে পড়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরেও দুই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী পাহাড়ধসের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজার শহরের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দা ঝুঁকিতে আছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভাকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কা : বিকেলে ভারি বর্ষণের পর চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চলে যথারীতি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এ কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী সৈয়দা মিনি পারভিন জানান, গতকাল বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে কাজ করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টি কিছুটা কমে যাওয়ার পর জলাবদ্ধতাও কমে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ebf09336-b4b6-4c49-96ed-6f4040fa67f5 | গত মাসে ইথোফেন দিয়ে অপরিপক্ব ফল পাকানোর অভিযোগে কারওয়ান বাজারে প্রায় ৪০০ মণ আম ধ্বংস করা হয়েছিল। পরে আরো কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত একই অপরাধে প্রচুর আম ধ্বংস করেন। এ নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি দুটি পক্ষ পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান নেয়। সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে ইথোফেনে আম পাকালে ক্ষতির কিছু নেই। কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাটির দাবি, ইথোফেন নিয়ে ফল পাকানোর পর তা খেলে শরীরে নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হয়।
এই বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বাজার থেকে আমের নমুনা সংগ্রহ করে ভারতীয় একটি অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবে পরীক্ষা করে। ওই পরীক্ষায় আমে ক্ষতিকর মাত্রায় ইথোফেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা যায়, কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন আড়ত থেকে আমের নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণভোগ, হিমসাগর ও গুটি। আমগুলোর নমুনা গত ২৫ মে ভারতীয় একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। দুই ভাগে এগুলোর পরীক্ষা করা হয়। আমের খোসা ও আঁশ (যে অংশটি খাওয়া হয়)। ১ জুন এই পরীক্ষার ফলাফল বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হয়।
পরীক্ষার ফলাফলে হিমসাগর ও লক্ষণভোগের খোসা ও আঁশে ইথোফেন পাওয়া যায়নি। আর গুটি আমের খোসা ও আঁশে যথাক্রমে ০.০৬৬ মিলিগ্রাম/কেজি ও ০.০৪০ মিলিগ্রাম/কেজি ইথোফেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নির্ধারিত/অনুমোদিত মাত্রা ২ মিলিগ্রাম/কেজি। এ ছাড়া মানবদেহের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দৈনিক ০.০৫ পিপিএম পর্যন্ত ইথোফোন গ্রহণ করা নিরাপদ বলে জানা গেছে।
এই আমগুলোর নমুনায় ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপস্থিতি রয়েছে কি না তা-ও পরীক্ষা করা হয়। এতে কোনো ধরনের ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপস্থিতিও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক (পুষ্টি) ড. মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই পরীক্ষাটা খুবই জরুরি ছিল। কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠানটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক কথা বলার কারণে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এখন এই পরীক্ষার ফলই বলে দিচ্ছে ইথোফেন ব্যবহার মোটেও অনিরাপদ নয়। আর এতে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকিও নেই।’
দেখা গেছে, লক্ষণভোগ পরিপক্ব হওয়ার সময় হলো ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই। আর গোপালভোগ পরিপক্ব হওয়ার সময় ২৫ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ এই আম দুটির যে নমুনা বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো অপরিপক্ব। এ ছাড়া গুটি আমের পরিপক্বতার সময় ১ মে থেকে ৭ মে। এই আমটির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা ছিল পরিপক্ব।
ড. মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘কাঁচা আম আমরা খাই। এই আম যদি ইথোফেন দিয়ে পাকানো হয় তবে সেটাও খেতে কোনো সমস্যা নেই। এতে পুষ্টির পরিমাণ পাকা আমের চেয়ে কম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেলে ক্ষতি নেই। তবে যারা নির্দিষ্ট সময়ের আগে গাছ থেকে অপরিপক্ব আম পেড়ে বাজারজাত করে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু আম ধ্বংস করা উচিত নয়।’
আম পাকানোর জন্য বিভিন্ন দেশে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ইথিলিন গ্যাস (উচ্চ পিএইচ ও আর্দ্রতায় ইথোফেন যৌগ ভেঙে গিয়ে ইথিলিন গ্যাস তৈরি করে) ‘একটি চেম্বার’ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে পরিপক্ব কাঁচা ফল পাকানো হয়। এর জন্য বিভিন্ন দেশে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। বাংলাদেশে ব্যবহারের মাত্রা নির্দিষ্ট থাকলেও কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় তা ব্যবহার করতে হবে সেটা কেউ মানছে না। এই অভিযোগ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন নামের সংস্থাটির। তাদের দাবি, এটি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক যা শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের কঠিন রোগ হতে পারে। তবে শুরু থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করে আসছে, ইথোফেন দিয়ে ফল পাকানো সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা নেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সংস্থাটি ফল ধ্বংসের বিপরীতে অবস্থান নেয়।
পবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরো বেশি করে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি যত দ্রুত সম্ভব আমসহ অন্যান্য ফলমূল খাওয়ার বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ab5c4bed-3763-4c34-8060-71cc40f928d0 | রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর থানা ছাত্রলীগের নেতাদের ‘গলায় পাড়া’ দেওয়ার হুমকি দিলেন কামরাঙ্গীর চর থানার ওসি শাহিন ফকির। ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের অনুসারী নেতাকর্মী ও তাদের অভিভাবকদের সম্প্রতি থানায় ডেকে নিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে ওসি বলেন, এ অবস্থান প্রশাসনেরও। ওসি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থক থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান রতনসহ ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ির ইট খুলে নেওয়াসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তারসহ ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দেন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান, থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মাসুদ মিন্টু, মো. মোরসালীন হোসেন ও তাঁর বাবা মঞ্জুর হোসেন, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমানের বাবা আব্দুল আজিজ। ওসি বারবার হুমকি দেন, নিরাপদে থাকতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতাদের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সঙ্গ ছাড়তে হবে; চেয়ারম্যানেরও কামরাঙ্গীর চর আসা চলবে না, কারণ তিনি কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান।
এই হুমকি-ধমকির অডিও সম্পর্কে জানতে গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হলে ওসি শাহীন ফকির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আপনার কাছে ডকুমেন্ট থাকলে যা পারেন লিখে দেন।’ সংসদীয় আসনের প্রার্থিতার আশায় শাহীন আহমেদ প্রচারণা চালাতে পারবেন না কেন—এ প্রশ্নর উত্তরে ওসি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে সে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সে আমার কেউ না, সে এলাকায় আসতে পারে না, পারবে না।’
কালের কণ্ঠ’র কাছে আসা অডিও রেকর্ড থেকে :
ওসি : আপনারা তো গার্ডিয়ান। গার্ডিয়ানদের বলি। ওদের এটা নষ্ট করতেছে কিন্তু ওই যে রতন। আপনারা বিপদে পড়বেন। আপনারা বিপাকে পড়বেন। ঘরে টিকতে পারবেন না। আপনার ছেলের সেম মেসেজ।
ছাত্রলীগ নেতা : ভাই (চেয়ারম্যান) তো আমাদের কোথাও নিয়ে যায় না। আমরা স্যার বিপদে পড়ার মতো কোনো কাজ করি না।
ওসি : অবশ্যই করো। এই কামরাঙ্গীর চরের থেকে তোমরা ভাগো। যদি তোমাদের রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে তাহলে ওই পারে যাও। এই কামরাঙ্গীর চরে যদি টুঁ শব্দ হয় গলায় পাড়া দিয়ে যা করা লাগবে তাই করব।
ছাত্রনেতা : রাজনীতি করলে সমস্যা কি?
ওসি : এক শ পার্সেন্ট সমস্যা।
ছাত্রনেতা : অপরাধ দেখতে হবে না?
ওসি : অপরাধ বলতে কি আমি ওসি বুঝি। তোমাদের ডুবাবে ওই লোক। তোমাদের ডুবাবে মিন্টা। শাকিল্লা। কোথার থেকে ইয়া আসে আমি দেখব। আমি হলাম ওসি।
ছাত্রনেতা : অপরাধ কী আমাদের?
ওসি : পিরিত করতে যাও, ওখানে (অশ্রাব্য গালি) যাও।
ছাত্রনেতা : এটা তো কোনো অপরাধ হতে পারে না।
ওসি : অবশ্যই। ওই শালা... এখানে কে? ওই কুত্তার বাচ্চা এখানে কে?
ছাত্রনেতা : এগুলা আমাদের জিজ্ঞেস করে লাভ আছে?
ওসি : এই পারে পোস্টার লাগাবে রাজনীতি করবে! যা প্রেসার আমার ওপর।
ছাত্রনেতা : পোলাপান তো এরা বোঝে না।
ওসি : আমি বুঝি না কে কী করে?
ছাত্রনেতা : রক্ত-মাংসের মানুষ স্যার।
ওসি : ঠিক আছে। আমার প্রশাসনেরও একই কথা। উনি এইখানের কেউ না। ওই পারে যাইয়া থাকুক, ঘুমাক, যত রাজনীতি সব করুক। কিন্তু এই পারে হবে না। এই পারে থাকলে দেখা গেছে যে আর দুইটা ছেলের হয়রানি হবে। আর দুটা পরিবারের হয়রানি হবে। দরকার কি!
ছাত্রনেতা : রাজনীতি না জানলে কি এত দূর আসতে পারত?
ওসি : আর ধুরা। লেইখ্যা রাখ আমি সার্টিফিকেট দিয়ে দিলাম। জীবনে পাবে না (মনোনয়ন)। সে ইস্তফা দিয়ে তার পর আসুক। দেখা যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানিত্বও থাকবে না। হারাবে। যদি আমার এলাকায় রাজনীতির ‘র’-এরও গন্ধ পাই, তাহলে একদম পাড়ায়ে মারা যেটা সেটা করব।
ছাত্রনেতা : কামরাঙ্গীর চরে শাহীন চেয়ারম্যানের শুভাকাঙ্ক্ষী আমরা একা না।
ওসি : যারাই থাকুক না কেন। তোমারে যেহেতু দেখা গেছে ডাকছি; ওই শাহীন চেয়ারম্যান পারলে পোস্টার লাগাক। পারলে গলায় জুতার মালা দিয়ে দেখাব। রাজনীতি করো শেখ হাসিনার ছবি দেখাইয়া, গঠনতন্ত্র বোঝ না। যে ঘুরঘুর করে তারাই দেখবা যে দূরে সরে গেছে। যখন পত্রটা (মনোনয়নপত্র) আসবে কে পাইল কে পাইল না—তখনই দেখবা কী কাণ্ডটা হয়। সে জন্য আগেভাগে রাস্তা ঠিক করো।
ছাত্রনেতা : ভাই নমিনেশন কে পাবে এখনো ঠিক হয় নাই।
ওসি : তুমি লেইখা নাও আমি বললাম। আমি ওসি তো। ওসিগিরি ছেড়ে দিব, উনি যদি নমিনেশন পায়।
ছাত্রনেতা : তাহলে কে পাবে?
ওসি : এই কামরুলই পাবেন; কামরুল।
ছাত্রনেতা : আরো ছয়-সাত মাস বাকি আছে না?
ওসি : কামরুলই পাবে। দেখা যাবে, রাস্তায় যদি না আসো, ঘরের ইটও থাকবে না।
ছাত্রনেতা : কামরুল পাইলে আমাদের আর শাহীন চেয়ারম্যানরে কি লাগবো না?
ওসি : শাহীন চেয়ারম্যানরে... দিয়েও গুনবে না।
ছাত্রনেতা : এত সহজ?
ওসি : অ-অ-অ, টের পাবা।
ছাত্রনেতা : জনপ্রিয়তাও নাই উনার? আমরা তো রাস্তায় ঘুরি। মন্ত্রীর কী জনপ্রিয়তা আছে?...শাহীন চেয়ারম্যানের ঘটনা এক বছর ধরে। তার আগে থেকে আমাদের কেন বঞ্চিত করে রাখছে?
ওসি : আমি এক পার্সেন্টও ছাড় দেব না। আমার যে হুকুম আদেশ আছে, আমি সেটাই পালন করব।
ছাত্রনেতা : অপরাধটা কী আমাদের?
ওসি : শাহীন চেয়ারম্যানের রাজনীতি করলে ওই পারে যাই করতে হবে।... শাহীন চেয়ারম্যান তো মেট্রোর বাইরে। তারে নিয়া হিসাব কেন করো? সে তো মেট্রোর কেউ না, কামরাঙ্গীর চরের কিছু না।
ছাত্রনেতা : হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে শাহীন চেয়ারম্যানের।
ওসি : দেখা গেছে যে পরিশ্রম করে অনেকে কাজ করে, যাদের যোগ্যতা আছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার, ওদেরকে দেয় নাই কিসের জন্য? একাট্টা যদি হয়ে যায় তাহলে হার্মফুলও হয়ে যেতে পারে। এটাই হলো রাজনীতি।... সুতরাং আমরা এই থানা এই এলাকায়, এটাই হলো লাস্ট মেসেজ, তোমার পেছনে যারা সবাইকে বোঝাইয়া দিবা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d177e859-806f-4b65-8e2a-8f5c119abf33 | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি জোরালো আস্থা থাকলেও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বিকল্প শক্তি হিসেবে বিএনপির সঙ্গেও ভারতের যোগাযোগ বাড়ছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর দলটিকে নিয়ে ভারতের ভাবনা বিষয়ে বিবিসি বাংলার এক বিশ্নেষণে এ কথা বলা হয়েছে।
বিশ্লেষণটিতে আরো বলা হয়, বিএনপিকে নিয়ে ভারতের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি নতুন আগ্রহ যে দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই মনোভাব কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক সেটি নিয়ে হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে বিএনপি যে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি এবং তারা যে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে ও বাংলাদেশে আবারও সরকার গঠন করতে পারে—এই বিবেচনাগুলো ভারতের নীতিনির্ধারকদের মাথায় আছে। ভারতের কয়েকজন সাবেক কূটনীতিক ও বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলে গতকাল রবিবার বিবিসি এমন ধারণা পেয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ধারণা যে ভারতের কাছে আওয়ামী লীগ পছন্দের দল এবং বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে আসুক এটি ভারত চায় না। তবে এ ধারণাটি পুরোপুরি নাকচ করেছেন বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তিনি বলেন, ভারতের ‘নেইবারহুড পলিসি’ যে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশকে তাঁরা সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার দেন। তিনি স্বীকার করছেন যে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে বিরাট উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে এটিও বলছেন যে ভারত বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কথা বলতে প্রস্তুত। তবে তাদের অবশ্যই দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ভারতের নামকরা সাময়িকী আউটলুকের সাবেক উপসম্পাদক এস এন এম আবদি বলেন, এই মুুহূর্তে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারই যেন ক্ষমতায় ফিরে আসে। কিন্তু তিনি আবার এটিও বলছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কিন্তু একটি বিকল্প দৃশ্যপটের জন্যও তৈরি। তাঁর মতে, সেই বিকল্প দৃশ্যপটের কথা মাথায় রেখে বিএনপি, এরশাদের জাতীয় পার্টি এমনকি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও ভারত যোগাযোগ রক্ষা করে।
ভারতীয় প্রভাবশালী সাময়িকী মেইনস্ট্রিম উইকলিতে সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতীয় বিশ্লেষক অপরূপা ভট্টাচার্য ও সৌরনি বেজ একটি লেখায় সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে জেতে ও ক্ষমতায় ফিরে আসে তখন ভারত কী করবে? তাঁদের মতে, শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকলেও ভারতের উচিত হবে না বাংলাদেশের ক্ষমতার লড়াইয়ে খালেদা জিয়া বা বিএনপিকে এখনই ‘খরচের খাতায়’ লিখে ফেলা।
বিএনপির প্রতিনিধিদল যে ভারতে গেছে সেটি কতটা বিএনপির আগ্রহে আর কতটা ভারতের উদ্যোগে সেটি স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এটি যে বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যেই করা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ বিষয়ে খোঁজ রাখেন এমন একজন ভারতীয় সাংবাদিক বলেন, কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল ভারতে গিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে। তখন কিন্তু বিএনপি আমন্ত্রণ পায়নি। তাই এ সফরকে তিনি ভারসাম্য সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ বাড়ছে। আবার বিএনপিও ভারতবিরোধী কথাবার্তা আগের চেয়ে অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্রগুলো কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে, বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক ভারত সফর নয়াদিল্লির আমন্ত্রণে বা সরকারি কোনো সফর ছিল না। তবে অন্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আমন্ত্রণ না জানালেও এ সফরে ভারতের সায় ছিল। কারণ রাজনীতিবিদদের ভিসা দেওয়ার সময়ই ধারণা করা যায় তাঁরা কী কাজে যাচ্ছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
57d141cf-14aa-46a8-a625-2db89b384edd | দুই দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকেই মায়ের কোল থেকে ৯ মাসের শিশুকে কেড়ে নিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয় তারা। এমন মর্মপীড়ার ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার সতীশ মহাজন লেইনে সাজু মহাজন ভবনের নিচতলার একটি বাসায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয়েছে গত সোমবার। পিবিআই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরুর পরই গণমাধ্যমের নজরে আসে বিষয়টি।
হতভাগ্য শিশুটির নাম নিঝুম মিত্র তরী। তার বাবা রিপন মিত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা চম্পা মিত্র গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায়। তবে চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় থাকেন।
ঘটনার ব্যাপারে পিবিআইয়ের পরিদর্শক সদীপ কুমার দাশ জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাসায় দুই যুবক ঢুকেই মায়ের কোল থেকে ৯ মাসের শিশুকে ছিনিয়ে নেয়। পরে বাথরুমে গিয়ে বালতির পানিতে চুবিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে। তারা বাসা থেকে টাকা ও সোনার আংটি নিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা শিশুকে কেন এভাবে মারল, এমন রহস্য এখনো ভেদ করতে পারেনি থানা পুলিশ ও পিবিআই। ওই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এ ঘটনার পর শিশুর মা-বাবার সঙ্গেও ঘটনার বিবরণ জানতে কয়েক দফা বলা বলেছে তদন্তকারী দল।
রিপন মিত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তাঁর বাসায় আরো দুজন নিকটাত্মীয় থাকেন। তাঁরাও কাজের প্রয়োজনে সন্ধ্যার সময় ঘরের বাইরে ছিলেন। বিকেল ৫টার পর কলিংবেলের শব্দ শুনে স্ত্রী চম্পা ঘরের দরজা খুলে দেন। দুই যুবক সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে চম্পার গলায় ছুরি ধরে। একজন তাঁর কোল থেকে শিশু তরীকে কেড়ে নিয়ে বাথরুমের দিকে চলে যায়। অন্যজন চম্পার গলায় ছুরি ধরে থাকে। একপর্যায়ে চম্পার কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ড্রয়ার থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রিপন মিত্র আরো জানান, আলমারির অন্য ড্রয়ারে আরো চার লাখ টাকা ছিল। কিন্তু তারা সেই টাকা পায়নি।
রিপন মিত্র জানান, দুই যুবক বের হয়ে যাওয়ার পরপরই চম্পা বাথরুমে গিয়ে তাঁর সন্তানকে বালতির ভেতর উপুর অবস্থায় পান। কোলে নেওয়ার পরই বুঝতে পারেন তরী বেঁচে নেই। তখনই চম্পা জ্ঞান হারান। পরে প্রতিবেশীরা বাসায় ঢুকে বিষয়টি দেখতে পায়। শেষে রিপনকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান। তারপর রিপন দ্রুত বাসায় ফেরেন।
রিপন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘পতেঙ্গা থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত করছে। খুনিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের ধরতে পারলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
শিশুকে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা থানার ওসি, বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার এবং উপকমিশনারকে ফোন করা হয়। কিন্তু চারজনের কেউ ফোনে সাড়া দেননি। ফলে চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
69567e79-c0f1-4e45-a17a-31281ae3611c | দুই দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকেই মায়ের কোল থেকে ৯ মাসের শিশুকে কেড়ে নিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয় তারা। এমন মর্মপীড়ার ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার সতীশ মহাজন লেইনে সাজু মহাজন ভবনের নিচতলার একটি বাসায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয়েছে গত সোমবার। পিবিআই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরুর পরই গণমাধ্যমের নজরে আসে বিষয়টি।
হতভাগ্য শিশুটির নাম নিঝুম মিত্র তরী। তার বাবা রিপন মিত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা চম্পা মিত্র গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায়। তবে চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় থাকেন।
ঘটনার ব্যাপারে পিবিআইয়ের পরিদর্শক সদীপ কুমার দাশ জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাসায় দুই যুবক ঢুকেই মায়ের কোল থেকে ৯ মাসের শিশুকে ছিনিয়ে নেয়। পরে বাথরুমে গিয়ে বালতির পানিতে চুবিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে। তারা বাসা থেকে টাকা ও সোনার আংটি নিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা শিশুকে কেন এভাবে মারল, এমন রহস্য এখনো ভেদ করতে পারেনি থানা পুলিশ ও পিবিআই। ওই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এ ঘটনার পর শিশুর মা-বাবার সঙ্গেও ঘটনার বিবরণ জানতে কয়েক দফা বলা বলেছে তদন্তকারী দল।
রিপন মিত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তাঁর বাসায় আরো দুজন নিকটাত্মীয় থাকেন। তাঁরাও কাজের প্রয়োজনে সন্ধ্যার সময় ঘরের বাইরে ছিলেন। বিকেল ৫টার পর কলিংবেলের শব্দ শুনে স্ত্রী চম্পা ঘরের দরজা খুলে দেন। দুই যুবক সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে চম্পার গলায় ছুরি ধরে। একজন তাঁর কোল থেকে শিশু তরীকে কেড়ে নিয়ে বাথরুমের দিকে চলে যায়। অন্যজন চম্পার গলায় ছুরি ধরে থাকে। একপর্যায়ে চম্পার কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ড্রয়ার থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রিপন মিত্র আরো জানান, আলমারির অন্য ড্রয়ারে আরো চার লাখ টাকা ছিল। কিন্তু তারা সেই টাকা পায়নি।
রিপন মিত্র জানান, দুই যুবক বের হয়ে যাওয়ার পরপরই চম্পা বাথরুমে গিয়ে তাঁর সন্তানকে বালতির ভেতর উপুর অবস্থায় পান। কোলে নেওয়ার পরই বুঝতে পারেন তরী বেঁচে নেই। তখনই চম্পা জ্ঞান হারান। পরে প্রতিবেশীরা বাসায় ঢুকে বিষয়টি দেখতে পায়। শেষে রিপনকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান। তারপর রিপন দ্রুত বাসায় ফেরেন।
রিপন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘পতেঙ্গা থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত করছে। খুনিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের ধরতে পারলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
শিশুকে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা থানার ওসি, বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার এবং উপকমিশনারকে ফোন করা হয়। কিন্তু চারজনের কেউ ফোনে সাড়া দেননি। ফলে চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e9999dff-de71-43f6-9baf-9b101b73f836 | দেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রধান সাতটি ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের বিষয়ে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে এ খাতের উন্নয়নের আশানুরূপ প্রতিফলন নেই। সংগঠনগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সব ধরনের কর তুলে নেওয়াসহ তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব, বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) নেতারা এ আহ্বান জানিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজেট ঘোষণার আগে অপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেইস, ডেভেলপমেন্ট টুলস এবং সাইবার সিকিউরিটি আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমানোর জন্য বেসিস থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে এগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য কম্পিউটার সফটওয়্যাারের আমদানি শুল্ক ২৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে এবং মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় এ রকম সফটওয়্যারও বিদেশ থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে। এর ফলে দেশীয় শিল্প মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। সংগঠনগুলো এ কারণে অন্যসব কম্পিউটার সফটওয়্যার আমদানির ওপর শুল্ক ও মূসক যথারীতি আগের হারে বহাল রাখার দাবি জানায়।
বক্তারা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর ৫% মূসক আরোপ করা হয়েছে। এ সেবার ওপর ৪.৫% মূসক ধার্য ছিল। বর্তমানে এ সেবার পরিসর বাড়ছে। ফলে নানাবিধ উদ্ভাবন ও সেবা নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার এ খাতের আয়কর ২০২৪ সাল পর্যন্ত মওকুফ করেছে। অন্যদিকে এর ওপর মূসক বহাল রেখেছে। দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে এসব সেবার ওপর থেকে সম্পূর্ণরূপে মূসক প্রত্যাহারের জন্য বেসিস থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আমরা এসব সেবার মূসক প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব করছি।
আরো বলা হয়, ইন্টারনেট বা ডাটা কানেকটিভিটি এখন বিশ্বব্যাপী মৌলিক অধিকারের অনুষঙ্গ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সরকার কয়েক দফা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য কমালেও ইন্টারনেটের ওপর ২১.৭৫ শতাংশ ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ গ্রাহকদের ওপর বোঝা হয়ে চেপে আছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব নাগরিকসেবা সহজলভ্য করতে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে সব ধরনের কর প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়।
সংগঠনগুলো অনলাইনে পণ্য বিক্রয় তথা ই-কমার্সের ওপর বিগত বছরের মতো কোনো ভ্যাট আরোপ না করায় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর মাধ্যমে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে ভার্চুয়াল বিজনেস ও অনলাইনে পণ্য বিক্রি নিয়ে যেহেতু একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে এ দুটি বিষয়ের সংজ্ঞা স্পষ্ট করার প্রয়োজনের কথা বলেন।
সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, ‘ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্টের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইন্টারনেট যন্ত্রপাতি—যেমন ফাইবার অপটিক কেবল, ওএলটি, ওএনইউ, ইথারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার ব্যাটারির ওপর বর্তমানে ২২.১৬% ভ্যাট ও শুল্ক আরোপিত রয়েছে; এটি এ শিল্পের প্রসারে একটি বড় প্রতিবন্ধক। আমরা এই ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলাম। ঘোষিত বাজেটে ৮৪.৭১ এবং ৮৪.৭৩ শিরোনাম সংখ্যা/এইচ এস কোডে ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পরিবর্তনসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে মূসক অব্যাহতিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এসআরও নং-২২৪-আইন/২০১৭/৭৭৪-মূসক, তারিখ : ০১ জুলাই, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ রহিতক্রমে প্রজ্ঞাপন এসআরও নং- ১৬৭-আইন/২০১৮/৭৯০-মূসক, তারিখ : ০৭ জুন, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ জারি করা হয়েছে। এর ফলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১% বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় আগের প্রজ্ঞাপন বহাল রেখে ১১% মূসক প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএমপিআইএর পক্ষে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশে মোবাইল সংযোজন এবং উৎপাদনকারী উভয়কেই ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রজ্ঞাপনের শর্ত (ক) অনুযায়ী শুধু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকবে, সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান নয়। যেখানে ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে ঘোষিত সুবিধার কারণে কম্পানিগুলো বিশাল বিনিয়োগ করে কারখানা স্থাপন করেছে, সেখানে মাত্র এক বছরের মধ্যে ১৫% ভ্যাট আরোপ করার কারণে পূর্ণাঙ্গ মোবাইল আমদানির খরচের চাইতে স্থানীয়ভাবে সংযোজিত মোবাইলের খরচ অনেক বেশি পড়বে। এর ফলে কোনোভাবেই এই সংযোজন শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না এবং বিনিয়োগকারীরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই এই শিল্পের ওপর ঘোষিত ১৫% মূসক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9422ac3d-31ba-4fcc-ac33-3180133c67d9 | বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ল আরো এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির ব্যয় বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধিত আকারে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল একনেক সভায় আরো ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। নদী শাসনের জন্য এক হাজার ১৬২ একর জমি অধিগ্রহণে এই টাকা খরচ হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথম যখন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়, তখন এর ব্যয় ছিল সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করে। নদী শাসনের কারণে এখন সেটির ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হার ৫৩ শতাংশ। গতকালের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ই-পাসপোর্টের জন্য ৪,৬৩৫ কোটি টাকা : গতকালের সভায় ই-পাসপোর্ট চালুকরণ শিরোনামে আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শিরোনামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে চার হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। পুরো টাকাই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জোগান দেওয়া হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় পাসপোর্টের জালিয়াতি এবং ১০ আঙুলের ছাপ ডাটাবেজে সংরক্ষণ না থাকার সুযোগে ওই পদ্ধতিটির দুর্বলতার কারণে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ে। তারপর থেকে দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমটি চালুর দাবি উঠে আসে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালুর নির্দেশ দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের আওতায় ই-পাসপোর্ট বুকলেট সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের কর্নিয়ার ছবি এবং ডিজিটাল সই সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তথ্য কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টারের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের পর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও দূতাবাসে পাসপোর্ট পাঠানো এবং তৈরি পাসপোর্ট বিতরণ। এসব কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সার্ভার, রাউটার, সুইচ, কম্পিউটার প্রিন্টার, স্ক্যানার, ক্যামেরা, ই-পাসপোর্ট রিডার, প্রিন্টিং মেশিন স্থাপন করা হবে।
সভায় পদ্মা সেতু প্রকল্প সংশোধন, ই-পাসপোর্টসহ মোট ১৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ১৮ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১১ হাজার ২২৯ কোটি, বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ৫৮৮ কোটি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছে সরকার। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৬১১ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিডিসির আওতায় ঢাকার কাওরানবাজারে ভূ-গর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণ, ৬৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে লং টার্ম সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট ফর ভেড়ামারা কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, এক হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে লাকসাম এবং চিনকী আস্তানার মধ্যে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প (সংশোধিত), দুই হাজার ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিগন্যালিংসহ টঙ্গী ভৈরববাজার সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণ (সংশোধিত), ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
52218327-51a0-4b29-b8ba-a43e67f220b0 | ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুরোগীর মাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সোহাগ মৃধা (৩৮) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবদুল বারেক মৃধার ছেলে।
ওই নারী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি দোকান থেকে পণ্য কিনে হাসপাতালে ফিরছিলেন। তখন হাসপাতালের একটি কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল নৈশপ্রহরী সোহাগ। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ সোহাগ তাঁকে ধরে জোর করে কক্ষটিতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তিনি চিৎকার করলে সোহাগ তাঁকে ছেড়ে দেয়। রাতেই তাঁর আত্মীয় থানা থেকে পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে যায়। তবে তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ওই নারী বলেন, তাঁকে সোহাগের লোকজন হাসপাতাল ছাড়তে ও কোথাও অভিযোগ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহাগ রাজাপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুন্ধে নিহত আলম চেয়ারম্যান ও সবুজের একান্ত সহযোগী ছিল। সোহাগের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। সে হাসপাতালের একাধিক কক্ষ দখল করে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি। তবে অভিযুক্ত সোহাগকে পাইনি। ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। দুপুর (শুক্রবার) পর্যন্ত তিনি অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লোহাগড়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীরা
নড়াইল প্রতিনিধি জানান, লোহাগড়া পৌর এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসীরা নড়াইল সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন শিশুটির পরিবারকে ঘটনাটি চেপে যেতে বলে। থানায় অভিযোগ না করতে হুমকি দেয়। ভয়ে পরিবারটি নড়াইল সদর থানায় যায়। কিন্তু সদর থানা ঘটনা তাদের এলাকায় না হওয়ার কারণ দেখিয়ে অভিযোগ নেয়নি। পরে পরিবারটি শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঘটনার পর রাত থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত মিরাজ পলাতক।
শিশুটির স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়ার মশাগুনি এলাকায় শিশুটি মিরাজের দোকানে আইসক্রিম কিনতে যায়। দোকান বন্ধ দেখে সে দোকান লাগোয়া মিরাজের বাসায় তাকে ডাকতে যায়। মিরাজ তার বাসায় আইসক্রিম আছে বলে শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন বাসায় মিরাজের স্ত্রীসহ অন্যরা ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন মিরাজের বাসা থেকে অসুস্থ শিশুটিকে উদ্ধার করে রাতে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে নড়াইল সদর হাসপতালে নেওয়া হয়। নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি তিনি জানেন না। তাঁর কাছে এলে তিনি একটা ব্যবস্থা করতেন।
গতকাল বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিশুটির পরিবার লোহাগড়া থানায় মামলা করতে পারেনি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0f1d2588-2e14-4e30-928b-b378dda3086a | ফাইল ছবি
মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের গর্বিত ঐতিহ্যের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালে আজকের এই দিনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে দলটির যাত্রা শুরু হয়। নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে দলটি শুরু থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। ১৯৫৫ সালে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। সাড়ে ৯ বছর ধরে টানা রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নবনির্মিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ১০ তলা ভবন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে তিনি সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ের চার হাজারের বেশি ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রায় ১১ হাজার নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ সকাল ১১টায় এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন। পরে আরেকটি সভায় ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তাগিদ দিতেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উপলক্ষে গতকালই সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনও রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে চ্যালেঞ্জ আছে। ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত আছে। দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে তৎপরতা আছে। এসব মোকাবেলায় নেতাদের করণীয় বিষয়ে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় দিকনির্দেশনা দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।’ গতকাল সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কার্যালয়টি ঘুরে দেখার পর সকাল ১১টায় শেখ হাসিনা গণভবনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের চার হাজার ১৫৭ জন নেতাকে নিয়ে একটি বর্ধিত সভা করবেন। এরপর ইউনিয়ন পর্যায়ের ১১ হাজার নেতাকে নিয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও ভারতবর্ষ ভেঙে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্নে দলটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পরে ১৯৫৫ সালে দলটির কাউন্সিলে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বাঁকে আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধীরে ধীরে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা হয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এ দেশের মানুষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পথচলা মসৃণ ছিল না। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের আগেই ১৯৭৫ সালে কিছু বিপত্গামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৯৮১ সালে বিদেশে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দিশেহারা আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনা দৃঢ় হাতে নতুন ভিত্তির ওপর দাঁড় করান। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে। পরের মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে না পারলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে আওয়ামী লীগ আজ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সংগঠনের নবনির্মিত কার্যালয় ভবন উদ্বোধন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব জেলা, উপজেলাসহ সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0f44b5dd-a802-4a3b-9c38-88f5faa8c1ad | বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও তা যথেষ্ট নয়। নারীর ক্ষমতায়ন ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় ওই সব প্রতিষ্ঠানে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ২০১১ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও পার্বত্য শান্তিচুক্তির আলোকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী নারীর অংশগ্রহণ : বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক জাতীয় পরামর্শসভায় বক্তারা এই দাবি জানান। বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা। প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল প্রধান ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। আলোচনায় অংশ নেন মং সার্কেল প্রধান রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রমা রানী রায়, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আইনুন নাহার, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বিএনপিএসের উপপরিচালক শাহনাজ সুমী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সোমা দত্ত, সিএইচটি নেটওয়ার্কের সদস্য থুয়াই ইয়ং মারমা, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ড. নই প্রু নেলী, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা,
সিএইচটি নারী হেডম্যান কারবারীর আহ্বায়ক জয়া ত্রিপুরা, কারবারী সান্তনা খিসা চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সচিব শান্তি বিজয় চাকমা, কাপেং ফাউন্ডেশনের সোহেল হাজং প্রমুখ।
ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, কিছু নারী মূল দায়িত্বে এলেই নারীর ক্ষমতায়ন হয় না। আদিবাসী নারীদের অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করতে আইন করতে হবে। ক্ষমতা কাঠামোতে আদিবাসীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারবে না, এমন বিধান প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আর ভূমি বণ্টন ও কেনাবেচার ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী বলেন, মং সার্কেলে নারী হেডম্যান-কারবারী নিয়োগ হলেও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের সক্ষমতা বাড়ছে না। বিচারপ্রক্রিয়ায় মং সার্কেলে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। মারমা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা কম।
অতিরিক্ত সচিব রমা রানী রায় বলেন, সব প্রথাগত আইনই যুগোপযোগী করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাক্ষেত্রে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। এসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে নারীদের অগ্রসর হওয়ায় বাধা দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রোকেয়া কবীর। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শুধু মুখে নয়, কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। শুধু প্রথাগত প্রতিষ্ঠানেই নয়, সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
মূল প্রবন্ধে সুস্মিতা চাকমা বলেন, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মতো আদিবাসী সমাজের নারীদের অধস্তন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ অধস্তনতার বেড়াজাল ছিন্ন করে এ সময়ে যেসব নারী হেডম্যান ও কারবারী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, পুরুষতান্ত্রিক বলয়ে তাঁদের প্রতিনিয়ত নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
2b19fcf7-96cf-49a8-a7b7-5d8f1c9d770e | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ছবি : বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বৈঠকে ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘গত ৯ বছরে বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত খাতে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিস্ময়কর অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে ভারত তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার এ সময় বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য তাঁর দেশের বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলে এ বিষয়ে নতুন দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য চট্টগ্রামে এক হাজার একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা সেখানে চাইলে এলএনজি প্রকল্পও স্থাপন করতে পারেন।
এ সময় হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আজ ১৩ জুলাই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের তিন দিনের বাংলাদেশ সফর এবং দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে তাঁর সারদা পুলিশ একাডেমি সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা বৈঠকে গত মে মাসে তাঁর ভারত সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়টিও স্মরণ করেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতন সফর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি ভালো প্রভাব ফেলেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. মজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-কুয়ালালামপুর প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে : বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সফররত মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবুর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানানো হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সফররত মালয়েশীয় মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সরকার একটি দ্বীপের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, যেখানে তাদের স্থানান্তর করা হবে।
মালয়েশীয় মন্ত্রী বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, তাঁর দেশ এসব রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাহাথির মোহাম্মদের প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. মজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
c7df16b8-b7ed-4930-b30a-4567a0d83ac8 | বাংলাদেশ সীমান্তে মাইন পোঁতার কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে চার দিনব্যাপী দুই দেশের সীমান্ত সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিপির পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি সীমান্ত সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ছিল না উল্লেখ করে তা এড়িয়ে যায় তারা। জানানো হয়, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবি-বিজিপি পরস্পরকে সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় তাত্ক্ষণিক তথ্যবিনিময়েও তারা একমত হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় ৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে মিয়ানমারের পুলিশপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। অপর পক্ষে বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজিপি সীমান্তে প্রাণঘাতী মাইন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসংক্রান্ত প্রশ্নের পর দোভাষীর মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন মিয়ানমার পুলিশপ্রধান ও বিজিবির কর্মকর্তারা। পরে মাইন পোঁতার কথা মিয়ানমার অস্বীকার করে বলে জানান বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অপস) মো. মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মাইন এবং আইইডির বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ ক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তারা কখনো মাইন বা আইইডি ব্যবহার করে না। এর পরও মাইন দেখা গেলে আমরা পরস্পর যোগাযোগ রক্ষা করব।’ রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ বিষয়ে কথা বলতে আপত্তি জানান মিয়ানমারের পুলিশপ্রধান। পরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান জানান, বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সীমান্ত সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত বিষয়গুলো উভয় পক্ষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। সম্মেলনে উত্থাপিত বিষয়গুলোর মধ্যে ইয়াবার ব্যাপকতার বিষয়ে উভয় পক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে তারা তৎপর।
সীমান্তে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির উল্লেখ করে সম্প্রতি মিয়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমসহ সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জবাবে মিয়ানমারপক্ষ জানায়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাদক, অস্ত্র, নারী ও শিশু পাচারসহ সব ধরনের আন্ত সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সীমান্তে সমন্বিত যৌথ টহল, সীমান্তে নজরদারি ও অন্যান্য তৎপরতা বৃদ্ধি, উভয় পক্ষের মাঠপর্যায়ের অধিনায়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় পরস্পরের মধ্যে তাত্ক্ষণিক তথ্যবিনিময়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3e345583-b8d5-4fcc-9db7-6ef0bcaf8f16 | বাসা ভাড়া দিচ্ছেন না, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস বিলও দেন না। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সরকারি বাসায় থেকে এমন সুবিধা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় বিশতলা নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণ বন্ধে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কিছুসংখ্যক কর্মচারী। নেপথ্যে এমন কারণ থাকলেও প্রকাশ্যে তাঁরা অজুহাত তুলছেন ভিন্ন। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণাধীন নতুন ভবনে প্রস্তাবিত প্রতি ইউনিট বানানো হচ্ছে খুবই ছোট আকারে।
কয়েক দফা চেষ্টা করেও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারছে না সরকারের গণপূর্ত বিভাগ। কর্মচারীরা তাঁদের দখলে রাখা জায়গা ছেড়ে না যাওয়ায় কর্মস্থল বুঝিয়ে দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতির মুখে এখন ওই ভবনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৬ জুন তাদের দপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়ে নির্মাণকাজ করার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মস্থল বুঝিয়ে দিতে বলেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে (দ্বিতীয় থেকে ১০ তলা পর্যন্ত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক কাজ শেষ করার মেয়াদ ১২ মাস। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় কর্মচারীদের বসবাস থাকায় তাঁদের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই কর্মস্থলে বসবাসকারী কর্মচারীদের অপসারণ বা স্থানান্তর করে প্রকল্প এলাকা বুঝিয়ে না দিলে কাজে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি আইনগত জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
গণপূর্ত বিভাগের নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা গত ২৭ জুন কর্মস্থলে গার্ডরুম ও লেবার শেড তৈরি করতে গেলে সেখানে আগে থেকে বসবাসকারী হাসপাতালের কর্মচারীরা তাঁদের বাধা দেন এবং শ্রমিকদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গণপূর্ত বিভাগে অভিযোগ করা হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯৪ সালে প্রতিটি তলায় ৫০০ বর্গফুট আয়তনের আটটি করে মোট ৮০ ফ্ল্যাটবিশিষ্ট ১০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম পর্যায়ে তিন বছর মেয়াদে চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বি আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স। কিন্তু ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত একতলা নির্মাণের পর কাজ থেমে যায়। চলতি বছর আবার সেই প্রকল্প জীবন ফিরে যায়। শুরু হয় বাকি অংশের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। কিন্তু এ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই প্রকল্প এলাকায় বসবাস করা কর্মচারীরা নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করতে থাকেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও তাঁদের ওই স্থান থেকে সরাতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, প্রকল্প এলাকায় আগে নির্মিত একতলা ভবনে যেসব কর্মচারী এত দিন ধরে বসবাস করে আসছেন, তাঁরা ভাড়া কিংবা পানি ও বিদ্যুৎ বিল কিছুই দেন না। নতুন ভবনের কাজ শুরু হলে তাঁদের এই অবৈধ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে—এমন আশঙ্কায় তাঁরা বাধা দিচ্ছেন। আর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকলে কিছুদিন পরেই এর বরাদ্দ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা আছে।
জানতে চাইলে প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী ১৪ জন কর্মচারীর একজন আহসান হাবিব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কর্মচারী হিসেবে আমরা এখানে বিনা ভাড়ায় থাকার বিশেষ সুবিধা পেয়েছি। হাসপাতালের বিগত পরিচালকের আমলে আমাদের এ সুযোগ দেওয়া হয়। তাই বলে আমরা এখানে আজীবন থাকার কথা বলছি না, আমরা যখন-তখন নেমে যেতে রাজি আছি, কিন্তু আমরা চাই নতুন যে ভবন হবে সেখানে কমপক্ষে ৮০০ স্কয়ার ফিটের প্রতিটি ইউনিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত হোক। কারণ ৫০০-৬০০ স্কয়ার ফিটের কোনো ইউনিট এখন একটি পরিবারের বসবাসের উপযোগী নয়।
তবে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ভবনটির মূল ফাউন্ডেশন বহু বছর আগেই নির্মাণ করা হয়; যেখানে একতলার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর সেই ভবনে কারিগরি কারণেই বড় আকারের ইউনিট করা সম্ভব হবে না। তবু আমরা চেষ্টা করছি কোনোভাবে ৫০০ স্কয়ার ফুটের বদলে ওপরে নকশায় কিছুটা বাড়ানো যায় কি না। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি কিছুটা নমনীয় হয়েছে। আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই কর্মচারীদের সরিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজ শুরুর জন্য আমাদের প্রকল্প এলাকা বুঝিয়ে দিতে পারবে।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
eaa7a103-7dcd-4f83-95cb-764557283fb6 | বন্যা, যানজট ও আবর্জনা—এই তিনটি বিষয়কে রাজধানী ঢাকার জন্য ‘নীরব’ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক এ আর্থিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, এ তিনটি সমস্যার কারণে ঢাকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হচ্ছে। ভবিষ্যতে এসব সমস্যা আরো প্রকট হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ‘টুওয়ার্ড গ্রেটার ঢাকা’ শিরোনামে ১৮৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক এ চিত্র তুলে ধরে। বিশ্বব্যাংক বলছে, রাজধানীতে বেশির ভাগ প্রকল্প নেওয়া হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া। বিদ্যমান পরিকল্পনাগুলোতে নজর না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজেদের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। অনেক প্রভাবশালী আইনকানুন মানেন না।
বাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (বিআরটি) ও মেট্রো রেলের কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, এ দুটি প্রকল্প রাজধানীর মধ্যবিত্তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকল্প দুটির কাজ চলছে ধীরগতিতে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে চার হাজার ১০০ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ নির্মিত হয়েছে দুর্বল পরিকল্পনায়। ১২ শতাংশেরও কম সড়ক গুণগত মানসম্পন্ন।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, দশ বছর আগে ঢাকায় প্রতি ঘণ্টায় গাড়ির গড় গতি ছিল ২১ কিলোমিটার। সেটি এখন সাত কিলোমিটার। রাজধানীর মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ দশমিক ৪ ঘণ্টা যানজটে কাটায় বলেও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ দুই কোটি মানুষের এই শহরে দিনে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ঢাকার যে সম্ভাবনা, তা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তবে সম্ভব। এ জন্য নগরের যে পরিকল্পনা আছে, সেখানে পরিবর্তন আনতে হবে। পূর্ব ঢাকাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পূর্ব ঢাকাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে পারলে সেখানে ৫০ লাখ মানুষের আবাসনব্যবস্থা এবং ১৮ লাখ মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
35762416-060e-4779-8656-3742a2a4fb03 | বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দুই দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন সাজানো হয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও কথামালায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বহ্নিশিখার সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্র ও নজরুলের রচনা প্রাচুর্যতা তুলনীয় নয়। বরং তাঁদের রচনার বৈচিত্র্য তুলনা করা যায়। তাঁরা নানা বিষয়ে লিখেছেন। সবার ওপরে তাঁরা মানুষকে প্রাধান্য দিয়েছেন, মানুষের জয়গান গেয়েছেন। সমগ্র মানুষ জাতিকে এক করে দেখেছেন।
বহ্নিশিখার শিল্পীরা অনুষ্ঠানের শুরুতেই কণ্ঠে তুলে নেন নজরুলের ‘গগনে সঘন চমকিছে দামিনী’। তাঁরা গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো’। এর পর ছিল বহ্নিশিখার শিল্পীদের দলীয় নৃত্য। একক কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন শিমুল সাহা, আসিফ ইকবাল সৌরভ, আবিদা রহমান সেতু ও অমিতেষ দাশ অমি। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের ‘পরিচয়’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন মাহফুজা আক্তার মীরা এবং তাসরুম জাহান জুঁই পাঠ করেন নজরুলের সাম্যবাদী কবিতাটি। সবশেষে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান ও কবিতা নিয়ে একটি কোরিওগ্রাফি পরিবেশন করেন বহ্নিশিখার সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা।
বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্ব : নেপাল দূতাবাস গতকাল সন্ধ্যায় জমজমাট সাংস্কৃতিক আয়োজন করেছিল শিল্পকলা একাডেমিতে। দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা একযোগে চলে একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করে আয়োজনের উদ্বোধন করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. চুপ লাল ভূষাল ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ধন বাহাদুর অলি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই নেপালের ঐতিহ্যবাহী কুমারী নৃত্য নিয়ে মঞ্চে আসেন সুশীলা থাপা। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমন সাগর জং। কউরা নৃত্য, টপ্পা নৃত্য, ভোজপুরি নৃত্য ও জাউর নৃত্যের ছন্দে শিল্পীরা তুলে আনেন বিভিন্ন আচার ও ঐতিহ্য। মাদল, বাঁশি ও মুজুরার পাহাড়ি সুরে মন জয় করে মিলনায়তনভর্তি দর্শকের। বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেন তনুশ্রী মাঞ্জি গোর্কা ও আমিনুল আশরাফ। সব শেষে ছিল লোকজ নৃত্য। শিল্পীরা ‘ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা’ ও ‘বকুল ফুল’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।
মঞ্চে ‘রাজরক্ত’ : ঢাকার মঞ্চে এলো আরো একটি নতুন নাটক ‘রাজরক্ত’। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চে এনেছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইন। প্রতিষ্ঠানটির ৩৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষা সমাপনী প্রযোজনা হিসেবে নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0e3af138-b5e0-4f0a-9aca-d4cdf74900fe | ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত বছর (২০১৭) বিভিন্ন খাত থেকে আয় করেছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে দলটির কোষাগারে উদ্বৃত্ত রয়েছে ছয় কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা। ক্ষমতাসীন দলটি গতকাল মঙ্গলবার ২০১৭ সালের আয়-ব্যয়ের এই হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।
এর আগে ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনে হিসাব জমা দিয়েছে বিএনপি। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। ব্যয় হয়েছে চার কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। বাকি পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ গতকাল ইসিতে হিসাব জমা দেওয়ার পর দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে তথ্য জানান। দলটির ২০১৬ সালে আয় ছিল চার কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি এক লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল এক কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। আর ব্যাংকে জমা ছিল ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৪১ টাকা।
এ হিসাবে গত বছর ক্ষমতাসীন এই দলের আয় ও ব্যয় দুটিই বেড়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে দলটির আয় হয়েছিল সাত কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে বছর দলটি প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল। ২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল তিন কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।
আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, দলের সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকে জমা অর্থের লভ্যাংশ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, আপ্যায়ন, সভা সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।
এর আগে ৩১ জুলাই নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয় বিএনপি। আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল সময়মতো হিসাব দিতে না পারায় ইসিতে আবেদন করে ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব অনুসারে এর আগে ২০১৬ সালে বিএনপির আয় হয় চার কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয় তিন কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫২ টাকা। ২০১৫ সালে দলটির আয় ছিল এক কোটি ৭৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৫ টাকা। সে সময় বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয় এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ২০১৪ সালে আয় দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং ব্যয় হয় তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার ৫৯০ টাকা।
এদিকে এবার জাতীয় পার্টির (জাপা) আয়ও বেড়েছে। ২০১৭ সালে দলটি আয় করেছে এক কোটি আট লাখ ৫৫ হাজার ২৪০ টাকা। এ সময় দলটি ব্যয় করেছে এক কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ টাকা। এক লাখ টাকার বেশি উদ্বৃত্ত রয়েছে দলটির। এর আগে ২০১৬ সালে জাপার আয় ছিল ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যয় হয় এক কোটি পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৩ টাকা। ২০১৫ সালে দলটির ৯৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয় এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৩ টাকা।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত দলগুলোর জন্য প্রতিবছর ৩১ জুলাই কোনো নিবন্ধিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মের মাধ্যমে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিলের বিধান রয়েছে। কোনো দল পর পর তিন বছর এই হিসাব দাখিল না করলে নির্বাচন কমিশন ওই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
18e64370-0100-495c-9ccb-6f8c5e2331fe | কোরবানির হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও গতকাল রবিবার পর্যন্ত বেচাকেনা তেমনভাবে জমেনি, এমনকি দামও চড়া-ই রয়েছে। শেষ দুই দিনের আশায় বিক্রেতারা বসে আছে, আবার ক্রেতারাও হাটে ভিড়ছে কম। অনেকেরই ধারণা, এবার গরুর সরবরাহ বেশি থাকায় শেষ দিনে দাম কম থাকতে পারে। আবার শহর এলাকায় গরুর রক্ষণাবেক্ষণও ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় আগেভাগে গরু না কেনার পক্ষেই বেশির ভাগ মানুষ। তবে অনেকে গরু না কিনলেও গত দুই-তিন দিনে হাটে হাটে ঘুরে দামদর দেখেছে। যদিও আজ সোমবার থেকে কেনাবেচা জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শুধু ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরের হাটগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুর মহানগরীর পশুর হাটগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। দুটি স্থায়ী ও ২০টি অস্থায়ী মিলিয়ে গাজীপুর মহানগরীতে পশুর হাট বসেছে ২২টি।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের হোসেন আলী জানান, ২৫টি গরু নিয়ে শনিবার গাজীপুরে আসেন। এর মধ্যে ১৫টি বড় আকৃতির। বাকিগুলো মাঝারি। এ পর্যন্ত যে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে তার সবই মাঝারি। তিনি বড় গরুর প্রতিটি দুই লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন। ক্রেতা ৫৫-৬০ হাজার করে দাম করছে।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন জেলা থেকে দিনে ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাকভর্তি গরু আসছে। বেচাকেনা যা হচ্ছে তার বেশির ভাগই মাঝারি আকৃতির। মিয়ানমারের গরুও দেখা যায় বিভিন্ন হাটে।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান জানান, কুমিল্লায় এবার ২৮৫টি কোরবানির পশুর হাট। পশুর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার। মজুদ রয়েছে তিন লাখ চার হাজার ১৩৬টি। ইতিমধ্যে জেলার বাইরে থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে ৫০ হাজারেরও বেশি কোরবানির গরু এসেছে।
নাটোরের দেশীয় খামারিদের গরু-খাসিতে ভরে গেছে জেলার ১৩টি কোরবানির পশুর হাট। এবার ভারতীয় গরুর তেমন আমদানি না থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় এসব গরু।
পাবনায় চতুর বাজার ও নাকালিয়া গরুর হাটে দেশি গরুর আমদানি কয়েক গুণ বেশি। ফলে অনেক গরু অবিক্রীত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিক্রেতারা। হাটে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
বরিশালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর পশুর হাটগুলো। তবে বিক্রি গতকাল পর্যন্ত তেমন জমে ওঠেনি।
ময়মনসিংহে আজ (সোমবার) থেকে শহরের সার্কিট হাউস মাঠে গরুর হাট পুরোপুরি জমে উঠবে। গতকাল রবিবার বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, গরু-খাসি নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছে। ক্রেতাও আছে, তবে কেনাবেচা কম।
প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা, আঞ্চলিক প্রতিনিধি পাবনা, নাটোর ও রাজবাড়ী এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল অফিস।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
79b0015a-550a-4451-a6fe-dcefe7a83960 | চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। দুবাই, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে একের পর এক ঢুকছে কোটি কোটি টাকার বড় বড় সোনার চালান।
সোনা চোরাচালানে বাহক হিসেবে ব্যবহার হতে গিয়ে ধরা পড়া একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সোনার চালান পৌঁছার আগেই দেশে অবস্থানকারী তাঁদের চক্র বিমানবন্দর পুলিশ, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ‘সমঝোতা’ করে নেয়। সমঝোতা অনুযায়ী টাকা পেলে সোনার চালান ছেড়ে দেন কর্মকর্তারা। আর সমঝোতা অনুযায়ী টাকা না পেলে চালান ধরা পড়ে যায়।
এই চক্রে রাজনীতিক থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পুলিশ, আনসার, কাস্টমস কর্মকর্তা, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিক নেতা এবং কথিত কয়েকজন সাংবাদিকের নামও আলোচনায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, যে যাঁর পদের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা ও বিমানবন্দরের শ্রমিক নেতারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধভাবে আনা ১৯টি চালানে ৩৮ কেজি সোনা ধরা পড়েছে। যার মূল্য প্রায় ২০ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। চলতি বছরের জুন থেকে গত রবিবার পর্যন্ত প্রায় সাত কোটি ৬১ লাখ টাকার ১৮ কেজি সোনা আটক করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে প্রায় ১৬ কেজি ওজনের সোনার চালনসহ এক যাত্রীকে আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। কিন্তু চোরাচালানের হোতারা প্রতিবারই আড়ালে থেকে যায়।
সোনা চোরাচালানের বাহক হিসেবে ব্যবহার হতে গিয়ে ধরা পড়া একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সোনা চোরাচালানের সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসকারী হারুন এবং শারজায় বসবাসকারী শওকত নামে দুই ব্যবসায়ী সোনা চোরাচালানের হোতা। তাঁরা অন্য ব্যবসার আড়ালে বাংলাদেশে সোনা চোরাচালান করে থাকেন। তাঁরা দুবাই থেকে বাহকের মাধ্যমে দেশে সোনা চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধরা পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, সোনার চালান পৌঁছার আগেই দেশে অবস্থানকারী তাঁদের চক্র বিমানবন্দর পুলিশ, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ‘সমঝোতা’ করে নেন। অনেক সময় সোনার চালান আটক হলেও সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে ছেড়ে দেন কর্মকর্তারা। অনেক ক্ষেত্রে আটককৃত চালানে যে পরিমাণ সোনা থাকে তার চেয়ে কম দেখানো হয় আটকের সময়। এর সবই নির্ভর করে কর্তাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’র ওপর।
সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযোগটি সঠিক নয়। প্রতিটি ফ্লাইটে ১৫০ থেকে ২০০ যাত্রী থাকে। তাদের সবাইকে তো আমরা তল্লাশি করতে পারি না। আচরণ দেখে কিংবা চলাফেরায় সন্দেহ হলে সেই সব যাত্রীকে আমরা তল্লাশি করি। এ ছাড়া আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট যাত্রীকে তল্লাশি করি এবং এতে সফলতা পাওয়া যায়। যদি কেউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলে তবে তা মিথ্যা কথা। এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
সোনার বারসহ ধরা পড়া বাহকরা আরো জানান, দুবাই থেকে সোনা বহন করে আনলে বাহকরা পান দেশে ফেরার ফ্লাইটের টিকিট, শপিংয়ের জন্য কিছু নগদ অর্থ, আর প্রতিটি সোনার বারের জন্য ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ‘সমঝোতা’ করে চালান নির্বিঘ্নে পার হয়ে যেতে সহায়তা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা নিজের কিংবা কার্যালয়ের গাড়িতে করে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন সোনার বাহককে। এসব কর্মকর্তার সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও জড়িত বলে শোনা যায়। সে জন্য তাঁরাও পান ‘সমঝোতার’ ভাগ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় সোনা চোরাচালানকারী চক্রটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রায়ই কোনো ধরনের ঝুটঝামেলা ছাড়া সোনা পাচার করে চলেছে। বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হলে চালানের বাহক তাঁর লাগেজ (ব্যাগ) বিমানবন্দরেই ফেলে চলে আসেন বাইরে। এ সময় লাগেজ ট্যাগ দিয়ে আনা হয় বিমানের শ্রমিক নেতাদের হাতে। এরপর সেই লাগেজ বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখায় জমা হয়। পরবর্তী সময়ে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিমানের শ্রমিক নেতারা গোপনে তা ছাড় করিয়ে নেন। মূলত কাস্টমস কর্মকর্তারা যখন বিমানবন্দরে থাকেন না তখনই ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখা থেকে লাগেজ সরান শ্রমিক নেতারা।
এ ছাড়া এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে শারজাফেরত এক যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১০টার পর ডিউটিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা তেমন একটা থাকেন না। এ সময় কোনো আন্তর্জাতিক (মধ্যপ্রাচ্যের) ফ্লাইট এই বিমানবন্দরে নামলে অনায়াসে কাস্টমস চেকআপ পেরিয়ে যায় যাত্রীরা। সম্প্রতি শারজা থেকে ফেরার সময় ফ্লাইট ডিলে করায় শাহ আমানতে সেই রাতে এমন ঘটনা আমি নিজের চোখে দেখেছি।’
বিমানের সিবিএ সভাপতি এ এফ এম দিদারুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পান তবে ব্যবস্থা নিতে বলুন।’
আটককৃতরা জামিনে এসে আবারও জড়াচ্ছেন চোরাচালানে
সোনা চোরাচালানের সময় যাঁরা আটক হন তাঁদের খবর পরবর্তী সময়ে আর কেউ (সংস্থা) রাখে না। আটকের পর কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসেন তাঁরা। পরে আদালতে আর হাজিরা দেন না। আবারও দুবাই কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে পাড়ি দেন এসব ‘বাহক’ পরিচয়ের ব্যক্তিরা। আবারও সোনা চোরাচালানের বাহক হন এসব ব্যক্তি। আটককৃত ব্যক্তিদের পাসপোর্ট দেখে কাস্টমস কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3e837c60-6e71-444e-b246-4c1b68deca9f | এবার ঈদুল আজহার মৌসুমে দেশে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে অন্তত ৯৬০ জন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য তুলে ধরেছে।
সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮ তুলে ধরে জানান, ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ আগস্ট থেকে ঈদের পর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ঈদুল আজহার সময় ২০৫টি দুর্ঘটনায় ২৭৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে হিসাবে এবার নিহতের হার কিছুটা কমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি চার বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ, র্যাব, বিআরটিএ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতা ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকায় এবারের ঈদ যাত্রায় বিগত ঈদুল ফিতরের তুলনায় দুর্ঘটনা ১৪.৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩.৫৯ শতাংশ এবং আহত ২৪.১১ শতাংশ কমেছে। তবে গত ঈদুল আজহার তুলনায় দুর্ঘটনা ১৩.৫০ শতাংশ ও আহত ১১.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে সবাই সড়ক নিরাপত্তা ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যখন রাত-দিন গলদঘর্ম তখনও কিছু অসাধু অতি লোভী মালিক ও পরিবহন শ্রমিকের বেপরোয়া মানসিকতায় সড়কে নৈরাজ্য ও সড়ক হত্যা কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ঈদুল আজহার যাত্রা শুরুর দিন ১৬ আগস্ট থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট ১৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়, ১৭ আগস্ট ২১ দুর্ঘটনায় ১৫ জন, ১৮ আগস্ট ১৬ দুর্ঘটনায় ১৬ জন, ১৯ আগস্ট ১৬ দুর্ঘটনায় ১২ জন, ২০ আগস্ট ৩০ দুর্ঘটনায় ৪৫ জন, ২১ আগস্ট ১৬ দুর্ঘটনায় ২৩ জন, ২২ আগস্ট ১৭ দুর্ঘটনায় ২৪ জন, ২৩ আগস্ট ১৪ দুর্ঘটনায় ৯ জন, ২৪ আগস্ট ১০ দুর্ঘটনায় ১৪ জন, ২৫ আগস্ট ২৪ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন, ২৬ আগস্ট ১৩ দুর্ঘটনায় ১২ জন, ২৭ আগস্ট ২৬ দুর্ঘটনায় ২৩ জন এবং ২৮ আগস্ট ২১ দুর্ঘটনায় ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
প্রতিবেদন বলছে, হতাহতের মধ্যে ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন চিকিৎসক, দুইজন প্রকৌশলী, দুইজন সাংবাদিক, দুইজন শিক্ষক, ২০ শিক্ষার্থী, ৪২ জন চালক-হেলপার, ৫৯ জন নারী, ৩৪ জন শিশু ও আটজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছে।
সংঘটিত দুর্ঘটনার যানবাহন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২৯.১৮ শতাংশ বাস, ২৩.৬ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৬.৬ শতাংশ নছিমন-করিমন, ৫.৯ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক, ১১.১৫ শতাংশ অটোরিকশা, ৬.৯ শতাংশ কার-মাইক্রো ও ১৬.৭২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯.১৬ শতাংশ অনান্য যানবাহন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। মোট দুর্ঘটনার ৩১.৩৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষে, ৪৪.৩৫ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৭.৫৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ১.১০ শতাংশ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে, ১.২৬ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ও ৫.০২ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ হলো—ফিটনেসবিহীন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, বিরতিহীন/বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালক-হেলপার দিয়ে যানবাহন চালানো, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা ও সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
সমিতি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেফটি ইউনিট গঠন করে এই ইউনিটের মাধ্যমে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষিত চালক গড়ে তোলা জন্য জাতীয় পর্যায়ে সরকারিভাবে ‘চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ গড়ে তোলা, নিয়মিত রাস্তার রোড সেফটি অডিট করা, ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা, মহাসড়কে ধীরগতির ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারি চালিত রিকশা, অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট মেরামত করা, ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া ও জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুটপাত, আন্ডারপাস, ওভারপাস তৈরি করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সমিতির প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, এবার ঈদ মৌসুমে একই সময়ে রেলপথে ১৫ জন নিহত হয়। নৌপথে নিহত হয় চারজন।
প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সেফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্সের (শ্রোতা) আহ্বায়ক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, এফবিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা এম মনিরুল হক, মহীউদ্দীন আহমেদ, আজিজুল হক চৌধুরী, জিয়াউল হক চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন লীগের : যাত্রী কল্যাণ সমিতি উপস্থাপিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন লীগ। গতকাল সংগঠনের বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি কোনো ট্রেড ইউনিয়ন নয়, কিন্তু বিভিন্ন সময় দেখা যায় জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির এরূপ কার্যকলাপের জন্য তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী, সহসভাপতি মো. আমির হোসেন, মো. মজিবুর রহমান খান, মো. আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
12bdd848-bc55-4431-9669-5aa7ff8dd438 | সারি সারি বিছানা। এক সারি থেকে আরেক সারির মাঝখানে চলাচলের জন্য এক চিলতে জায়গা। তা দিয়ে কোনো রকমে পার হতে হয়। এক বিছানা থেকে আরেক বিছানার দূরত্ব্ব ইঞ্চিখানেক। বই এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিছানার নিচে রাখা। মেঝেতে পড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের অনার্স ভবনের ‘গণরুম’ ১০২ নম্বর কক্ষের চিত্র। এভাবে কষ্টকর পরিস্থিতিতে বসবাস করতে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি ছাত্রীর আবাসন সংকট কিছুতেই কাটছে না। প্রতিবছর ছাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না আবাসন সুবিধা। ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন সংকট।
হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রী হলগুলোয় গণরুমে প্রতিটি কক্ষে থাকছে ২০ থেকে ৩০ জন ছাত্রী। কোনো কোনো হলে থাকে তারও চেয়ে বেশি। অবশ্য গণরুমের বাইরে অন্য কক্ষগুলোর অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। আসনসংখ্যা কম হওয়ায় বেশির ভাগ হলে প্রতি বেডে দুজন, চারজনের কক্ষে থাকতে হয় আটজনকে। এসব কক্ষ পাওয়ার সুযোগ হয় তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে। প্রায় প্রতিটি হলেই রয়েছে অতিথি কক্ষ। সিট পাওয়ার আগে মাসিক ভাড়া দিয়ে সেখানে থাকতে হয় ছাত্রীদের।
ছাত্রীদের অভিযোগ, হলে আবাসন সুবিধা না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোস্টেল ও মেসে থাকতে হচ্ছে তাদের। গ্রাম থেকে আসা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রীদের জন্য তা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বাইরের মেস ও হোস্টেলগুলোয় নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে যৌন হয়রানিসহ নানা ঘটনা। ফলে ছাত্রীরা বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ে হলগুলোর গণরুমে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ বছরের বার্ষিক বিবরণী থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হল ও দুটি ছাত্রী হোস্টেলে ২০ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক ছাত্রীর সংখ্যা ছয় হাজার ৮৫৬ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী রোকেয়া হলে এক হাজার ৫০০ জন, শামসুন্নাহার হলে এক হাজার ৪০৫ জন, কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮৩ জন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৯৬৮ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে দুই হাজার ৩০০ জন, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রী নিবাসে ১৩০ জন, শহীদ অ্যাথলেট সুলতানা কামাল হোস্টেলে ৭৫ জন ছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে। তবে হলগুলোতে আবাসিক শিক্ষার্থীর তুলনায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি ছাত্রী বসবাস করছে।
বিবরণী থেকে জানা যায়, রোকেয়া হলে পাঁচ হাজার, শামসুন্নাহার হলে চার হাজার ৪৭৮ জন, কুয়েত মৈত্রী হলে এক হাজার ২০০ জন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক হাজার ৪৩৯ জন, সুফিয়া কামাল হলে এক হাজার ৫০০ জন অনাবাসিক ছাত্রী রয়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ৭ মার্চ নামে একটি বর্ধিত ভবন নির্মিত হয়েছে। ভবনটিতে প্রায় এক হাজার ছাত্রী আবাসন সুবিধা পেলেও সংকট কাটছে না। আবাসন সংকট কাটাতে হলে প্রয়োজন একাধিক নতুন হল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস সূত্র জানায়, জায়গার অভাবে নতুন হল নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ সামনে রেখে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করতে হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জীবন কুমার মিশ্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছাত্রীদের আবাসন সংকট রয়েছে এটা ঠিক। সংকট নিরসনে সম্প্রতি ৭ মার্চ নামে একটি ভবন নির্মাণ করা হলেও সংকট কমানো যাবে না। আবাসন সংকট নিরসনে প্রয়োজন নতুন হল নির্মাণ। তবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বাজেটের ঘাটতি নেই। শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে হল নির্মাণের কথা রয়েছে।’
ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিয়ে শামসুন্নাহার হলের এক ছাত্রী তাসনিম আক্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হলের চেয়ে মেয়েদের হল কম। অনেক ভোগান্তি পার করে তারপর মেয়েদের হলে উঠতে হয়। চারজনের কক্ষে গাদাগাদি করে আটজনকে থাকতে হয়। অনেকে হলে সিট না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোস্টেল ও মেসে থাকছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9e6f1194-cdc4-4435-bffd-241b5ebc5669 | কোরবানির ঈদের পরে রাজধানীতে মুরগির মাংস বেশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমলেও খুব একটা কমেনি ডিমের দাম। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেক কমলেও খুচরায় মরিচের ঝাঁজ খুব একটা কমেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাইকারি ও কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে ক্রেতাকে ১২০ টাকা কেজি দরেও মুরগি সাধছিল কোনো কোনো দোকানি। কোরবানির গরুর মাংসের প্রভাবে মুরগির মাংস কম কেনা হচ্ছে। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দামও পড়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহেই মুরগির চাহিদা আবার বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করছে বিক্রেতারা। ঈদের সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের পাশের মুরগির দোকানি লিটন সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো মানুষ কোরবানির মাংসের ওপর নির্ভর করছে। কিছু ক্রেতা এখন মুরগির বাজারে আসতে শুরু করেছে। সামনের সপ্তাহে এটা বাড়তে থাকবে।’
মাস দুয়েকের বেশি সময় ধরে অস্থির হয়ে থাকা মুরগির ডিমের বাজারে এখনো স্বস্তি ফিরে আসেনি। খুচরা বিক্রেতারা ৩২-৩৪ টাকায় প্রতি হালি ডিম বিক্রি করছে। ডজন নিলে দাম নিচ্ছে ১০০ টাকা। তবে মহল্লার বাজারে যেসব দোকানি শুধুই ডিম বিক্রি করে, তাদের কাছে গেলে প্রতি ডজন ডিম ৯৫ টাকায় মিলছে।
বেশ কিছুদিন আগেই অস্থির হয়ে উঠেছিল কাঁচা মরিচের বাজার। টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে পারছিল না। অনেকের ক্ষেত নষ্টও হয়ে গেছে, যে কারণে পাইকারি বাজারে ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল মরিচের, যা খুচরায় ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেও এই দামে অনেক খুচরা বিক্রেতাকে মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে এখন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০-৫০ টাকায় নেমে এলেও দিব্যি দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা। প্রতি কেজি মরিচ তারা বিক্রি করছে ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে। গতকাল রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার ও বাড্ডার গুদারাঘাট কাঁচাবাজারে ১২০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, ‘পাইকারিতে দাম একটু কমছে। তবে এখনো বেশি।’ তবে কত বেশি সেটা জানতে চাইলে তিনি তা বললে ইতস্তত বোধ করেন।
এদিকে কারওয়ান বাজারে ভেতরের কাঁচাবাজারটিতে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। যদিও ফরিয়া পাইকাররা বিক্রি করছে ৪০-৫০ টাকায়। এ রকম এক পাইকার আব্দুল হাকিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম পাইকারিতে অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। সরবরাহ বেশি বলেই দাম কম।’
এদিকে কিছুটা কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী আমদানি করা পেঁয়াজে গত কয়েক দিনে ১৮.৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।
সবজির বাজার রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে সবজির পাইকারি বাজারে দাম বেশ কম এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। রাজধানীর খুচরা বিক্রেতারা সবজি বিক্রি করে অনেকটা ইচ্ছামতো দামে। মিরপুরের ভাসানটেকের একটি বাজারে লম্বা বেগুন ৩০ টাকা কেজি এবং আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ ফার্মগেট কাঁচাবাজার ও রামপুরা কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছিল ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে এবং আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বরবটি ৪০-৫৫ টাকা, কচুর মুখী ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০-৩০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০-৪০ টাকা, লতি ৪০-৪৫ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৪৫-৫০ টাকা, করল্লা ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে চালের বাজার। প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল হলেও এই দাম একটু বেশি বলেই মনে করে ক্রেতারা। মাঝারি মানের চিকন চাল মানভেদে ৪৮-৫৬ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের চিকন চাল প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫৮-৬৮ টাকায়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
640466d9-43f2-499e-8467-2a7b5f6826f6 | চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঢাকায় ফার্নিচার পাঠানোর আড়ালে ইয়াবা পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ওই ফার্নিচারবোঝাই একটি মিনিট্রাক থামিয়ে ২৯ হাজার ২৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় ট্রাকটি জব্দ এবং এর চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ট্রাকচালক মো. মোক্তার (২৪) ও তাঁর হেলপার মো. সবুজ ওরফে বাবু (১৯)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিএমপির উপপরিদর্শক মো. বদরুদ্দৌজা মাহমুদকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান বলেন, ফার্নিচারবোঝাই একটি মিনিট্রাকে করে ইয়াবা পাচারের সময় মিরসরাই উপজেলার রেদোয়ান পেট্রল পাম্পসংলগ্ন এলাকা থেকে মো. মোক্তার ও মো. সবুজ নামে দুজনকে আটক করে র্যাব। তাঁদের কাছ থেকে ফার্নিচারের (স্টিলের ফাইল কেবিনেট) ভেতর তালাবদ্ধ করে লুকানো ২৯ হাজার ২৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাকচালক ও সহকারী ইয়াবাগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজার হাইলেভেল রোড থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান মিমতানুর রহমান।
ইয়াবাগুলো সিএমপির এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বলে জানা গেছে। এই উপপরিদর্শকের নাম মো. বদরুদ্দৌজা মাহমুদ। তিনি সিএমপির পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন। এক মাস আগে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা থেকে তাঁকে শাস্তিমূলক বদলি করে সিএমপিতে পাঠানো হয় বলে সিএমপি কর্মকর্তারা জানান।
ইয়াবা উদ্ধারের পর তাঁদের দুজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপপরিদর্শক বদরুদ্দৌজাকে আটক করে খুলশী থানা পুলিশের হেফাজতে তুলে দেন সিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা। উপপরিদর্শক বদরুদ্দৌজা বর্তমানে খুলশী থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, উপপরিদর্শক বদরুদ্দৌজার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা রয়েছে। সেই মামলা এখন তদন্তাধীন রয়েছে। আটক ট্রাকচালক মো. মোক্তার ও হেলপার মো. সবুজকে আসামি করে র্যাবের পক্ষ থেকে মিরসরাই থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। সেই মামলায় উপপরিদর্শক বদরুদ্দৌজাকে সরাসরি আসামি করা না হলেও তাঁর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
187317e1-6b9e-4c13-81ce-a397c615e843 | বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের পাগলীর ছড়ায় ২৩টি ইটভাটা স্থাপন করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আশপাশের এলাকার পাহাড় কেটে মাটি নিতে থাকায় এলাকাটি অনেকটা সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ইটভাটায় কয়লার বদলে জ্বালানি হিসেবে বনজ কাঠ ব্যবহার করায় গভীর অরণ্যের এই এলাকা ফাঁকা হয়ে পড়ছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার তিনটি যন্ত্র ও এক ব্যারেল জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে জান্নাত রুমী এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন, লামা থানার পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে জান্নাত রুমী জানান, অভিযান টের পেয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ রেখে ইটভাটার লোকজন পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত দুটি এস্কাভেটর ও একটি বুলডোজার জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার যন্ত্রগুলো চালানোর জন্য রাখা এক ড্রাম জ্বালানি তেলও ধ্বংস করা হয়।
নূরে জান্নাত রুমী আরো জানান, গোপন সূত্রে পাহাড় থেকে মাটি কাটার খবর পেয়ে উচ্চপর্যায়ের এই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে গভীর রাতে এত বড় অভিযান পরিচালনা করা হলেও গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহাড় থেকে মাটি কাটার অভিযোগে থানায় কোনো মামলা হয়নি। এতে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব ইটভাটার অনুমোদন না থাকলেও ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর গ্রামীণ আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদ করার বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
b56bee53-aaa8-4527-baf5-877f623e0c7b | নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানকে ভারত থেকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে বহিঃসমর্পণ চুক্তির আওতায় আনা হবে। এর আগে এই চুক্তির আওতায় নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার আসামি নূর হোসেনকে ফেরত আনা হয়।
নাম প্রকাশ না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মিজানকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হবে। তারা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মিজানকে দেশে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মিজানকে সময়মতো দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। আমরা যাকে চাচ্ছি কিংবা তারা যাকে চাচ্ছে, তা কিন্তু আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা সময়মতো তাকেও নিয়ে আসব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতে বোমা মিজানকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। তার অংশ হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মিজানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এখন সেই কাগজপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ভারতে পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে ভারতে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারাধীন। আদালতের নির্দেশ পেলে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে। এর আগে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল।
গত ৬ আগস্ট ভারতের বেঙ্গালুরু শহরের এক গোপন আস্তানা থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এ ছাড়া সংস্থাটি কেরালা থেকে গত ৩ আগস্ট আব্দুল করিম ওরফে ছোটা (১৯), মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহিন ওরফে তুহিনকে (৩৭) আটক করে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সার্কিট, বিস্ফোরক, ডায়াগ্রাম, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে আরো দুই জঙ্গির সঙ্গে বোমা মিজানকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাকি দুই জঙ্গি ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। এর মধ্যে হাফেজ মাহমুদকে ওই দিন দুপুরেই টাঙ্গাইলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে পুলিশ। পরে গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি।
এদিকে ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের একটি দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই জঙ্গি নিহত এবং একজন আহত হয়। এই ঘটনার পর ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ জানতে পারে, খাগড়াগড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের অন্যতম হোতা বোমা মিজান। সে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান নিয়ে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরে বোমা মিজানকে ধরতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এনআইএর দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় হামলার মূল হোতাও বোমা মিজান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর উগ্রপন্থী বৌদ্ধ এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ নিতেই জঙ্গিরা বুদ্ধগয়ায় হামলা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা আনন্দবাজারের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বোমা মিজানকে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে। সে আবেদন ওই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে এনআইএর কাছে গেছে। তবে এখনই মিজানকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে চাইছে না এনআইএ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা ছাড়াও তারা চাইছে, আগে সেখানকার বিচার পর্ব শেষ হোক। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সেখানে গিয়ে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে জানেন না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে নিজেদের উদ্যোগে মিজানকে ফেরত চেয়ে আবেদন করতে পারে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a3490571-5093-4649-ae09-bc2362fd8394 | ঢাকার ধামরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সেখানকার বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগারে সময় পার করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে তাঁরা পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়েন।
কালামপুর বাজার সমিতি ও আঞ্চলিক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন গতকাল আতাউর রহমান খান কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বর্তমান এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক। একই দিন কুশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরেকটি অনুষ্ঠান হয় এবং এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ।
কালামপুর মাঠে বক্তব্যকালে এম এ মালেকসহ অন্য বক্তারা অভিযোগ করেন, বেনজীর আহমদ এমপি থাকাকালে মানুষের জমি দখল করেছেন এবং চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। গেল স্থানীয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযোগ করে তাঁর কাছ থেকে দূরে থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান এম এ মালেক।
অপরদিকে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেনজীর আহমদ ও তাঁর সমর্থকরা বলেন, এম এ মালেক ও তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখল করেছেন, বিভিন্ন কারখানায় চাঁদাবাজি করেছেন, ভিপি সম্পত্তি আত্মীয়দের নামে লিজ নিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করেছেন, হিন্দুদের জমি দখল করে নিয়েছেন, বিভিন্ন কারখানায় ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এম এ মালেকের পাশাপাশি বক্তব্য দানকারী অন্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন মিনা মালেক, সিআইপি আহম্মদ আল জামান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শফিক আনোয়ার গুলশান, ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার আবু সাইদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক দেওয়ান আলাল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম, সদস্য মাহতাব আলম, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গনি, পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান প্রমুখ।
বেনজীর আহমদের মঞ্চে বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম রতন, সহসভাপতি কাজী শওকত হোসেন শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক আইয়ুব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ শুকরানা, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন প্রমুখ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
597920af-7fd9-4bcf-957f-9ad8a7ab7043 | পুলিশের সহায়তায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে পুকুরের মাছ লুট করা হয়েছে। এ সময় ১৪ পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হয়। গতকাল শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের তুজুলপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদ করায় স্থানীয় সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তুজুলপুর গ্রামের কেরামত আলী জানান, সদর উপজেলার বলাডাঙা গ্রামের খসরু স্থানীয় ক্ষিতিশ চন্দ্র পালের কাছ থেকে মোহনপুর মৌজায় এক একর ২৯ শতক জমি কেনেন। ওই জমি ১৯৪১ সালে স্থানীয় সরকার সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ অধিগ্রহণ করে। ওই জমি ব্যবহার না হওয়ায় ডিরিকুইজেশনের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালে খসরু ফিরে পান। পৈতৃক সূত্রে পেয়ে খসরুর ছেলে মাহাবুবর রহমান মধু যশোরে বাস করার সুবাদে তুজুলপুর গ্রামের আনছার আলী ও জামালউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন। তাঁরা সেখানে বসবাস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। একইভাবে এলাকার সোবহান সরদার, আব্দুস সাত্তার, মোক্তার হোসেন, শওকত হোসেন, নাজিম মোল্যা, নাসরিনসহ ১৪ জন জমি ব্যবহার করে আসছিলেন। ১৯৮১ সালে খসরু ওই জমি থেকে আনছার আলী, জামাল উদ্দীনসহ ১৪ জনকে উচ্ছেদের জন্য সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে ১৯৮৪ সালে তা খারিজ হয়ে যায়।
কেরামত আলী আরো জানান, ওই জমি তাদের দাবি করে যশোরের বেজপাড়ার সাবেক পশু সম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমান মধু ও তাঁর শ্যালক বেলাল হোসেনসহ একটি মহল প্রশাসনের সহায়তায় দখলকারীদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক হাজ্জাজ হোসেনের উপস্থিতিতে মাহাবুবর রহমান মধুর শ্যালক বেলাল হোসেন, বলাডাঙা গ্রামের মুজিবর রহমানসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী প্রথমে তাঁর মুদি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। বাধা দেওয়ায় উপপরিদর্শক হাজ্জাজ হোসেন তাঁর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে যান। এরপর তাঁর বাড়িতে তালা লাগানোর চেষ্টা করা হয়। তারা দোকান বন্ধ করে মালামাল বিকেলের মধ্যে সরিয়ে নিয়ে দখল ছেড়ে দিতে বলে। পরে তারা আব্দুস সাত্তার ও মোক্তার হোসেনকে দখলচ্যুত করার চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাজাহানের পুকুর থেকে ২০ হাজারেরও বেশি টাকার রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া ও সিলভারকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করা হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন জমি থেকে ১৪ জন বসবাসকারীকে উচ্ছেদসংক্রান্ত আদালতের কোনো আদেশ আছে কি না জানতে চাইলে উপপরিদর্শক হাজ্জাজ হোসেন তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। একপর্যায়ে বিষয়টি ওসিকে জানালে পুলিশ ও হামলাকারীরা চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে মাহাবুবর রহমান মধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর শ্যালক বেলাল হোসেন জানান, তাঁর দুলাভাই এক একর ২৯ শতক জমি বর্তমান বিরোধীয় পক্ষকে বর্গা দেন। পরে ওই জমির জাল কাগজপত্র বানিয়ে দখলে রাখে। এখন তারা উচ্ছেদের মামলা না করে প্রশাসনের সহায়তায় ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক হাজ্জাজ হোসেন কথা না বলেই কয়েকবার ফোন কেটে দেন।
তবে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। উভয় পক্ষকে থানায় তাদের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
bae6d60b-53ae-4a64-b6c3-ac1992ffaf7f | দস্যুবৃত্তি ছেড়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে এ পর্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের ত্রাস ২৬টি বাহিনীর ২৭৪ জন সদস্য র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা জমা দিয়েছে ৪০৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ২৮৫টি গুলি। আত্মসমর্পণকারীদের র্যাবের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরো বেশ কিছু জলদস্যু ও বনদস্যুও আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. আবদুল মালেক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত জলদস্যু/বনদস্যুদের পুনর্বাসনসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি হিসেবে র্যাব মহাপরিচালককে মনোনীত করার পর দস্যুদের আত্মসমর্পণ কার্যক্রম তরান্বিত হয়। আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের পুনর্বাসনে র্যাবের পক্ষ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ২৩ মে খুলনায় এক অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের দাদা বাহিনীর ১৫ জন, হান্নান বাহিনীর ৯ জন, আমির আলী বাহিনীর সাতজন, সূর্য বাহিনীর ১০ জন, ছোট সামসু বাহিনীর ৯ জন ও মুন্না বাহিনীর সাতজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। তারা ৫৮টি অস্ত্র ও এক হাজার ৪১৪টি গুলি জমা দিয়েছে। এর আগে ১ এপ্রিল বরিশালে আত্মসমর্পণ করে ডন বাহিনীর ১০ জন, ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৯ জন ও ছোট সুমন বাহিনীর আটজন। তারা জমা দিয়েছে ২৮টি অস্ত্র ও এক হাজার ৮১টি গুলি। এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বরিশালে বড় ভাই বাহিনীর ১৮ জন, ভাই ভাই বাহিনীর আটজন ও সুমন বাহিনীর ১২ জন আত্মসমর্পণ করে। তারা ৩৮টি অস্ত্র ও দুই হাজার ৯৬৯টি গুলি জমা দেয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বনদস্যু ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৯ মে। ওই দিন বাগেরহাটের মোংলা বিএফডিসি ঘাটে এক অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণ করে মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ জন। এরপর ওই বছরের ১৭ জুলাই একই স্থানে মজনু বাহিনীর ৯ জন ও ইলিয়াস বাহিনীর দুজন, ৭ সেপ্টেম্বর বরিশালে আলম বাহিনীর চারজন ও সাগর বাহিনীর ১০ জন, ১৯ অক্টোবর বরগুনায় সাগর বাহিনীর ১৩ জন এবং ২৫ নভেম্বর বরিশালে খোকাবাবু বাহিনীর ১২ জন আত্মসমর্পণ করে। এরপর গত বছরের ১ নভেম্বর পিরোজপুরে মজিদ বাহিনীর ৯ জন ও মানজু বাহিনীর ১১ জন আত্মসমর্পণ করে। এর আগে একই বছরের ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালীতে আলিফ বাহিনীর ১৯ জন ও কবিরাজ বাহিনীর ছয়জন, ২৯ মার্চ বরিশালে রাজু বাহিনীর ১৫ জন, ২৭ জানুয়ারি একই স্থানে জাহাঙ্গীর বাহিনীর ২০ জন এবং ৫ জানুয়ারি পটুয়াখালীতে নোয়া বাহিনীর ১২ জন সদস্য অস্ত্র, গুলিসহ আত্মসমর্পণ করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণপ্রক্রিয়া চালানোর পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ১৫ আগস্ট সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু আল-আমিন বাহিনীর সদস্য বাবু (৩৮) নিহত হয়। এ সময় দস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা ২৩ জেলে, সাতটি নৌকা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২৮ জুলাই বরগুনার পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদের মাঝের চরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য কাজল নিহত হয়। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি গুলি উদ্ধার করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যে কারণে অনেকেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। কেউ কেউ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
2983944f-e2da-48b2-8324-82a28ee56c04 | সৌরবিদ্যুতের মিনি গ্রিডে পাল্টে যাচ্ছে দুর্গম এলাকার মানুষের জীবনধারা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব স্থানে এখনো বিদ্যুৎ যায়নি, সেখানে প্রযুক্তির আশীর্বাদে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের আলো। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নদী তীরবর্তী এলাকা রূপসা বাজার। বছরের পর বছর ধরে ওই বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে দোকানে আলো জ্বালিয়েছে। বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কম্পানির (ইডকল) সহযোগিতায় সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। রূপসা বাজারের ভাই ভাই স্টুডিও, হ্যাপি মেশিনারিজসহ সব দোকান এখন সৌরবিদ্যুতের মিনি গ্রিডে আলোকিত।
ইডকলের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা অনেক কঠিন কাজ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রিড সম্প্রসারণ করা অনেক ব্যয়বহুলও। তার পরও বর্তমান সরকার দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে মিনি গ্রিড প্রকল্পের মাধ্যমে ইডকল দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। ইডকল এরই মধ্যে দেশের ২৭টি প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বলে জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক। তিনি বলেন, এর মধ্যে ১৭টি কর্মক্ষম এবং বাকিগুলো নির্মাণাধীন।
ইডকলের কর্মকর্তারা ভোলার মনপুরার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ৫০ হাজার মানুষের বসবাস এই চরে এখন সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্পে আলোকিত হাটবাজার ও বাড়ি। বিদ্যুতের আলোয় কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে ভোলার প্রত্যন্ত মনপুরার চরের মানুষ।
ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০০ সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্পে অর্থায়ন করবে ইডকল, যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের দুই লাখ ঘর ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। তিনি বলেন, ২০০ সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা হবে ৫০ মেগাওয়াট। এর মাধ্যমে চরাঞ্চলের এক লাখ ৪৪ হাজার টন কেরোসিন জ্বালানি এবং তিন লাখ ৪৮ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ নির্গমন কমবে। তিনি জানান, প্রত্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং এনজিওর মাধ্যমে সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রত্যেক প্রকল্পের ২০ শতাংশের অর্থায়ন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান করবে। আর ৫০ শতাংশের ভর্তুকি এবং ৩০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেবে ইডকল। ৬ শতাংশ সুদে ১০ বছরের জন্য এ ঋণ দেওয়া হয়।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) প্রকাশিত ‘এনার্জি আর্কিটেকচার পারফরম্যান্স ইনডেক্স ২০১৭’ প্রতিবেদন মতে, বিদ্যুতের কাঠামোগত দক্ষতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম। বাংলাদেশে বিদ্যুতের মাথাপিছু উৎপাদন ৪০৭ কিলোওয়াট, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিদ্যমান গ্রিড লাইনের বাইরে দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে গ্রিড সম্প্রসারণ করা ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। এই পরিস্থিতিতে সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান ইডকলের কর্মকর্তারা।
ভোলার মনপুরা ও সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সেখানকার জনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, কম্পিউটার সার্ভিস সেন্টারগুলোতে সেবা পাচ্ছে চরের বাসিন্দারা। ইজি বাইকের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষ উন্নত পরিবহন সেবা পাচ্ছে। গ্রামীণ নারীদের মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a851c3ff-6fe4-4b07-91a5-544a016ff52c | ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ, প্রসিকিউশন ও আদালতের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। ফৌজদারি আইন, পুলিশ প্রবিধান এবং ফৌজদারি কার্যবিধির আদেশ ও বিধিমালা পুলিশ প্রশাসনকে কঠোরভাবে পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে এ বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যাগুলো ও সমাধানের উপায় নিয়ে গতকাল পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার সিএমএম আদালতের সম্মেলন কক্ষে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রতিনিধি, চিকিৎসক, আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। সিএমএম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী, মো. আমিনুল হক, কায়সারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান উল ইসলাম, সারাফুজ্জামান আনসারী, মাজহারুল ইসলাম, মাজহারুল হক, আমীর উল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ বলেন, ফৌজদারি মামলার বেশির ভাগ রুজু হয় থানায়। আসামি ও সাক্ষী হাজিরসহ মামলা তদন্তে বিলম্ব, নানা রকম পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সময়মতো না হওয়ায় ঘটনার বিচার বিলম্বিত হয়। এটা কাম্য নয়। মামলাপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব সেবাদানের। এই সেবা যত দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দেওয়া যাবে ততই ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
সিএমএম মো. সাইফুজ্জামান হিরো বলেন, ফৌজদারি আদেশ ও বিধিমালা ২০০৯-এর ৬৮ ধারা অনুযায়ী প্রতি মাসে আসামি ও সাক্ষীদের সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠাতে হবে। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তা পাঠায় না। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের নির্দেশ পালন করা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট এজেন্সি বাধ্য, কিন্তু তা করা হয় না।
পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আদালত থেকে সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যথাসময়ে পাঠানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তা যেন কার্যকর করে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মহিলা কারাগার নেই। তাদের রাখা হয় কাশিমপুর কারাগারে। তীব্র যানজট ঠেলে তাদের আদালতে হাজির করতে বিলম্ব হয়।
সম্মেলনে বিভিন্ন থানার ওসিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য সিএমএম মো. সাইফুজ্জামান হিরো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
fb062ed8-7cb3-417f-86c5-046921f67ae7 | ছবি: কালের কণ্ঠ
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে দলের চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা এসব দাবি তোলেন।
বিএনপির ছয় দফা দাবি হলো—নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাঁর নামে সব মামলা প্রত্যাহার, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি। দলটি বলছে, এই দাবিগুলো মানা না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ নির্বাচন হতে দেবে না।
জনসভায় মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য দলমত-নির্বিশেষে আবারও আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যুক্তফ্রন্ট আর গণফোরামের জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় দেড় মাস পর রাজধানীতে জনসভা করল দলটি। এতে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ২টার দিকে।
নির্বাচনের আগের এই সময়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাগারে থাকা দলের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আবারও বুকের রক্ত দিতে হবে, তবুও তাঁকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে আজ বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অপশাসনকে পরাজিত করতে হবে। জাতিকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকামী সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
দেশে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে—এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দিতে চাইছে। রায়ের আগে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন এ মামলায় তারেক রহমানের সাজা হবে। তাহলে কি তাঁরা আগেই রায় লিখে রেখেছেন?
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছিল। জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক শূন্যতা দূর করতে বিএনপি গঠন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছিল, আর জিয়াউর রহমান দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
জনসভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকতউল্লা বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ফজলুল রহমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
51bdedd5-7b90-4d54-b3a9-f976b342d86e | রাজধানীর পল্লবীতে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে বারণটেক এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সাইফুল শেরপুর সদরের জহিরুল ইসলামের ছেলে। পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) মঈনুল কবির জানান, সাইফুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছে।
এদিকে গতকাল ও গত শুক্রবার পৃথক ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো রনি (৩০), আইভি আক্তার (১৮) ও আমানউল্লাহ আমান (১১)।
জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে শনির আখড়া ফ্লাইওভারের ওপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রনির মৃত্যু হয়। পথচারী হানিফ জানান, রনি ফ্লাইওভারের ওপর মই দিয়ে বিদ্যুতের কাজ করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে রনি মই থেকে নিচে পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল ফোনে রনির স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, রনির গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। বাবার নাম তোবারক হোসেন। পরিবার নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থেকে ইন্টারনেট লাইনের কাজ করতেন।
এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর গেণ্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আমানউল্লাহ আমান মারা যায়। গেণ্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম ও ইমন ইসলাম জানায়, আমানউল্লাহ স্কুলের সামনের রাস্তায় একটি গ্যাসের পাইপে বসা ছিল। পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটি ধরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমানউল্লাহর খালু আব্দুল খালেক জানান, আমান সূত্রাপুরে মা মুনিয়া আক্তারের সঙ্গে থাকত। তার মা সেলাইয়ের কাজ করেন। তার বাবা বাদল আহমেদ মারা গেছেন।
তা ছাড়া গত শুক্রবার রাতে মহাখালী দক্ষিণপাড়ার একটি বাসায় পোশাক শ্রমিক আইভি আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আইভি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দুইআনি গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে মহাখালী দক্ষিণপাড়ার একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
আইভির বোন আইরিন জানান, তেজগাঁও এলাকায় একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন আইভি। গত শুক্রবার রাতে বাসায় ফিরে নিজের কক্ষে গলায় ফাঁস দেন তিনি। তবে তাঁর আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেনি কেউ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
986d137d-2531-4a0a-b3f3-834b58d7cd3f | সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে এস এম আব্দুল আহাদ নামে কুয়েতপ্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল আহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর মেদিনী মহলের নুর মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নগরের জিন্দাবাজারের তাঁতীপাড়া গলির মুখে একদল যুবক তাঁর ওপর হামলা চালায়। মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, নিহত আহাদের পিঠের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি, পায়ে ও ঊরুতে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় তাঁতীপাড়া সড়কে হাঁটছিলেন আব্দুল আহাদ। এমন সময় কয়েকজন যুবক তাঁকে ছুরিকাঘাত করে সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তাঁর পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শোকসভায় যোগ দিতে সিলেটে এসেছিলেন আহাদ। পরদিন রাতে তাঁর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, মরদেহের দাফন শেষে রবিবার আব্দুল আহাদের পরিবারের লোকজন সিলেটে এসে মামলা দায়ের করবে। তিনি বলেন, ‘কী কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। পূর্ববিরোধ রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বালাগঞ্জে গৃহবধূ খুন : সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় দেবরের ছুরিকাঘাতে শামীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শিশুসহ আরো দুজন। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার নতুন সুনামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেড় বছর বয়সী এক ছেলের জননী শামীমা ওই গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী এবং উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের তুরণ মিয়ার মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই নাজমুল হোসেন জানান, পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো দেবর মিন্টু ও রুহুল আমিন ক্ষুব্ধ হয়ে শামীমার বুকে ও হাঁটুতে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাদের বাধা দিতে শামীমার ছোট বোন নাইমা (১০) ও ভগ্নিপতি বারু মিয়া এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। তাত্ক্ষণিক বাড়ির অন্যান্য লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎক শামীমাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধী।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ শামীমা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় মিন্টুর ভাই রিপনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0bd93984-2c99-4053-b2c2-b303292b458b | আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব। তবে এই আইনের মাধ্যমে সমাধান দ্রুত আবার বিলম্বও হতে পারে।
গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ ‘রোহিঙ্গা : পলিটিকস, এথনিক ক্লিনজিং অ্যান্ড আনসার্টেইনটি’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে ‘দ্য রোহিঙ্গা, দ্য সার্চ ফর সলিউশনস, অ্যান্ড দ্য পোটেনশিয়াল অব হিউম্যান রাইটস ল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের শিক্ষক কেলি লপার। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কম্পারেটিভ অ্যান্ড পাবলিক ল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। সম্মেলনের কৌশলগত অংশীদার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ২১টি সেশনে ৭২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে প্রথম দিন ১২টি সেশনে চীন, ভারত, স্কটল্যান্ড, নেপাল, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও গবেষকদের ৩৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। আজ শেষ দিনে আরো ৩৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
মূল প্রবন্ধে কেলি লপার বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব। তবে এটি বিলম্ব হতে পারে, আবার দ্রুতও হতে পারে। এটি হঠাৎ করে পাওয়া কোনো প্রক্রিয়া নয়। বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকাটাই মানবাধিকার।
বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে আমাদের জন্য একটি সংকট তৈরি করেছে। সংকট সমাধানে দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা সই হয়েছে; কিন্তু তার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গাদের সমস্যা সামনে এসেছে; কিন্তু মিয়ানমার কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করেনি। যার ফলে আজকে আবার রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি সামনে এসেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
fe413b5b-18fd-4327-a501-d1472a06934b | নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় গতকাল রবিবার বিকেলে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই এলাকায় আরেক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে পুলিশ সেটি ধর্ষণের ঘটনা নয় বলে দাবি করে।
খুলশী থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, শিশুটি বিকেলে পানি আনতে গেলে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা হারুনুর রশিদ তাকে চকোলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ ধর্ষককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া ধর্ষিত শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলায় হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
ওসি বলেন, একই এলাকায় আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। তবে পুলিশ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পেরেছে সেটি ধর্ষণের ঘটনা নয়।
এদিকে মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় আদিবাসী তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আছকর মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার তাকে পাশের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ছত্রিশ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গারো সম্প্রদায়ের ওই তরুণীকে পানের জুম থেকে উঠিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে বুধপাশা গ্রামের আসব আলীর ছেলে আছকর। পরে পাশের লোকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামিম মুসা জানান, শুক্রবারের ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করলে আজ (রবিবার) পুলিশ ধর্ষক আছকর মিয়াকে পাশের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ছত্রিশ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ধর্ষণের শিকার তরুণীকে চিকিৎসার জন্য ওসিসি ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক ঘটনা শুনেছেন বলে জানান।
কুবরাজ আন্তপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং জানান, তিনি ঢাকায় ছিলেন। তবে এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।
ইছাছড়া পানপুঞ্জির মন্ত্রী (হেডম্যান) জেনেমন্ত্রীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
449f471d-4d37-40a6-9321-a6dfb742d4f6 | সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ অন্যান্য অপরাধ রোধে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে হাইওয়ে পুলিশের ওপর কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পাঠানো এ নির্দেশনায় বলা হয়—মহাসড়কে টমটম, নসিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ কোনো ছোট যানবাহন যাতে চলতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ওই সব যানবাহন রাস্তায় চললে পুলিশের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাড়ি তল্লাশির নামে পুলিশ কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারবে না। গাড়ির গতি বেশি কি না তাও সার্বক্ষণিক মনিটর করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়িও কিছুতে চলতে দেওয়া যাবে না।
হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ নির্দেশনার পর হাইওয়ে পুলিশ নড়েচড়ে উঠে বলেও জানা যায়। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি মহাসড়কেই হাইওয়ে পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব ফেলে তল্লাশির নামে চাঁদাবাজি করে থাকে। পুলিশের সামনেই মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ টমটম, নসিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সক্রিয় রয়েছে। কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ১২টি ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই রিকশাগুলো চালাতে হচ্ছে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কগুলোতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তিনি আরো বলেন, যানবাহনের কাগজপত্র সঠিক না পেলেই পুলিশ খুশি হয়। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর দেওয়া হয় মামলা। নিরিবিলি নির্দিষ্ট স্পটে দাঁড়িয়ে টাকা তোলে পুলিশ। এখনো মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন চলাচল করছে।
২৬ আগস্ট দুপুর ১টা। কুমিল্লার কুটুম্বপুর বাজারের পূর্ব পাশের মহাসড়কের হাইওয়ে পুলিশের একটি জিপ। গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র তল্লাশি করছে। কিন্তু সামান্য ত্রুটি থাকলেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন টহলরত পুলিশ সদস্যরা। আবার টাকা পেয়ে মহাসড়কে নিষিদ্ধ টমটম, নসিমন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে পুলিশ। পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়ার দৃশ্য এই প্রতিবেদক ছবি তোলতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টের পেয়ে নিজেদের গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্য সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মহাসড়কে কোনো অবৈধ গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। টমটম থেকে শুরু করে হালকা যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে ৮০ শতাংশ ওই সব যানবাহল রাস্তায় চলাচল করছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু যানবাহন আটক করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুুলিশের বিরুদ্ধে টাকা-পয়সা নেওয়াসহ কোনো ধরনের অভিযোগ উঠলে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার ও দুর্ঘটনা রোধে ২০০৫ সালের ১১ জুন ৭২টি পুলিশ ফাঁড়ি নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এর সুফল দৃশ্যমান নয়। অনুমোদনহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালক পুলিশের নাকের ডগায় চলাচল করে থাকে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
c69063dc-596e-4d7a-bf58-8c56ccda28ff | ৩৫তম বিসিএসে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) যোগ দেওয়া বিবি করিমুনন্নেসা তাঁর ১০ মাস বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। এই কর্মকর্তা অফিস চলাকালীন সময় তাঁর শিশুসন্তানকে পরিকল্পনা কমিশনে স্থাপিত দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে এত দিন নিশ্চিন্ত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ সেখানে ছন্দপতন ঘটে। ওই দিবাযত্ন কেন্দ্রে সেবা দেওয়া কর্মীরা আন্দোলন শুরু করায় সেখানকার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। কেন্দ্রে সেবা বন্ধ হয়ে পড়ায় শিশুসন্তানটিকে এখন কোথায় রাখবেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। শুধু করিমুনন্নেসাই নন; কমিশনের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রাখা আরো ৪১টি শিশুর কর্মজীবী মায়েরা পড়েছেন একই ধরনের সমস্যায়।
পরিকল্পনা কমিশনের দিবাযত্ন কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে সেবাদানকারী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বছর ধরে তাঁরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। মহিলা অধিদপ্তর থেকে বার বার তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে অন্য কোনো উপায় না থাকায় বকেয়া বেতনসহ নিয়মিত বেতনের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের সমস্যার কথা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সচিব নাছিমা বেগমও জানেন। তার পরও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী কালের কণ্ঠকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আপনি (প্রতিবেদক) ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় একটি পরিবারে কেমন খরচ হয় জানেন। যেখানে এক মাস বেতন ছাড়া একটি পরিবার অচল হয়ে যায়, সেখানে আমরা এক বছর বেতন পাচ্ছি না। খুবই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আমাদের জীবন। আমরা আমাদের নিয়মিত বেতন চাই।’
পরিকল্পনা কমিশনের দিবাযত্ন কেন্দ্র ছাড়াও রাজধানীতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর্মজীবী নারীদের শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আরো ১০টি দিবাযত্ন কেন্দ্র। মূলত কেন্দ্রগুলোর সেবাদানকারী ১১২ জন কর্মীর আন্দোলনের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে সব কেন্দ্র। সেবাদানকারী এসব কর্মীর মধ্যে রয়েছেন আয়া, রাঁধুনি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী। এই কর্মীদের আন্দোলনের কারণে শিশুসন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কর্মজীবী নারীরা। কর্মজীবী এই নারীরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই জটিলতার নিরসন হওয়া জরুরি।
রাজধানীর একাধিক দিবাযত্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক উপকরণ নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টিভি, ডিভিডি, কম্পিউটার, প্রিন্টার, খেলাধুলার উপকরণ ব্যবহারের অনুপযুক্ত। সেখানকার ভেতরের পরিবেশও অত্যন্ত নাজুক। দীর্ঘদিন ধরে কাপড়চোপড়, বিছানাপত্র পরিষ্কার না করায় শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য সকাল, দুপুর ও বিকেলে যেসব খাবার পরিবেশন করার কথা, তাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। আবার একটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে যত শিশু আসে, অর্থ হাতিয়ে নিতে দেখানো হয় তার চেয়ে বেশি শিশু।
মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কর্মজীবী নারীরা অফিস চলাকালীন তাঁদের শিশুদের যাতে আশপাশে দিবাযত্ন কেন্দ্রে রাখতে পারেন এর জন্য ২০০৯ সালে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর্মজীবী নারীদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কর্মসূচি’ শিরোনামের প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শেষ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় মোট ১১টি দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। যার মধ্যে সাতটি নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য আর চারটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য। নিম্নবিত্তের জন্য তৈরি করা দিবাযত্নগুলো স্থাপন করা হয়েছে রাজধানীর বাড্ডা, আদাবর, ডেমরা, গাবতলী, মিরপুর-১০ ও সাভারে। আর মধ্যবিত্তের জন্য স্থাপন করা হয় উত্তরা, রাজারবাগ, পরিকল্পনা কমিশন চত্বর ও নাখালপাড়ায়। যেকোনো কর্মজীবী নারী তাঁর ছয় মাস থেকে ছয় বছর বয়সী সন্তানকে ৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিয়ে দিবাযত্ন কেন্দ্রে রাখতে পারেন। এরপর প্রতি মাসে ফি দিতে হয় ৫০০ টাকা। শিশুদের খাবারসহ অন্যান্য উপকরণ মহিলা অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে ৫০ শিশুর থাকার ব্যবস্থা। উন্নয়ন বাজেটে পরিচালিত প্রকল্পটি বর্তমানে রাজস্ব খাতে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে মূলত আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ১১২ জন সেবাদানকারী কর্মীকে নিয়ে। দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে দুই ভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রে ডে-কেয়ার অফিসার, শিক্ষক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষক—এই তিনটি পদে নিয়োগ হয়েছে সরাসরি মহিলা অধিদপ্তর থেকে রাজস্ব খাতে। আয়া, কুক, গার্ড ও ক্লিনার—এই চারটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। এদের মধ্যে কেউ প্রকল্পের শুরু থেকে কর্মরত, কেউ বা প্রকল্প শুরুর মাঝখানে এসেছে।
বেতন বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে কজন সেবাদানকারী কর্মী ও মহিলা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনা স্টার সেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেডকে বাদ দিয়ে নতুন একটি কম্পানিকে নিয়োগ দিতে দরপত্র আহ্বান করে মহিলা অধিদপ্তর। এ কারণে আদালতে মামলা করে যমুনা স্টার সেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। মহিলা অধিদপ্তরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বে মূলত কর্মীদের বেতন বন্ধ। আর কর্মীরা অভিযোগ করেন, যমুনা সেভ গার্ড প্রতি কর্মীর কাছ থেকে মাসে ৫০০ টাকা করে কেটে রাখছে। এ ছাড়া প্রতিবছর তাদের ২০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে কর্মীদের।
মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা ঠিক হয়ে যাবে। সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই একটু সময় লাগছে।’
সরেজমিনে পরিকল্পনা কমিশন ও আদাবরে স্থাপিত দিবাযত্ন কেন্দ্র ঘুরে জানা গেছে, দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিশুদের রুটিন মোতাবেক খাবার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি পূরণ করা হয় না। সকালে দুধ, পাউরুটি, দুধ-সুজি, দুধ-সেমাই দেওয়ার কথা থাকলেও তা সরবরাহ না করে অন্য খাবার বিতরণ করা হয়। বিকেলের খাবারে কলা, কমলা, আম, আপেল, পেঁপে, দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় বিস্কুটসহ অন্য খাবার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে ১১টি দিবাযত্ন কেন্দ্রের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা। তাতে বলা হয়েছে, আদাবর দিবাযত্ন কেন্দ্রটির পরিবেশ ভালো নেই। সেখানে শিশুদের জন্য শিক্ষার উপকরণ, স্বাস্থ্য শিক্ষার উপকরণ, খেলনাসামগ্রী সরবরাহ করা হয়নি। নেই শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার জায়গা। আদাবর দিবাযত্ন কেন্দ্রটিতে স্থায়ী কর্মকর্তা ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মধ্যে চলছে মানসিক দ্বন্দ্ব। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। এ ছাড়া সেখানে ফ্রিজ, লাইটসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য নষ্ট হয়ে রয়েছে। জিগাতলা দিবাযত্ন কেন্দ্রেরও একই চিত্র। সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য ও আসবাবপত্র নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। গাবতলী দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অন্য কেন্দ্রগুলোরও প্রায় একই চিত্র।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
eb77660d-7d6e-4970-9387-97afd185c613 | মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জর্দানফেরত সেই কুমারী মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি ওই কুমারী মায়ের খোঁজখবর নিতে তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তরুণীর মুখ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং তাঁকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান দেন পুলিশ সুপার। আশ্বাস দেওয়া হয় সব সময় পরিবারটির পাশে থাকার।
দরিদ্র পরিবারের ওই তরুণী ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর জর্দানে যান। সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৩ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এ কারণে সমাজপতিরা তাঁকে সমাজচ্যুত করেন।
জর্দানে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট ওই তরুণী সেখানে বসবাসরত সিংগাইর উপজেলার চর-চান্দহর গ্রামের সোনিয়া আক্তার ওরফে রাবিয়া, তাঁর বাবা লেহাজুদ্দিন, মা জরিনা বেগম, স্বজন আয়েশা আক্তার ও ভারতীয় নাগরিক গরজিদকে আসামি করে সিংগাইর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনা নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা কালের কণ্ঠসহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমের দৃষ্টিগোচর হলে গতকাল বিকেলে তিনি ওই কুমারী মা ও তাঁর নবজাতক সন্তানের খোঁজখবর নিতে তাঁর বাড়িতে যান। পুলিশ সুপার প্রতিবেশীদের ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করারও পরামর্শ দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুজ্জামান।
পুলিশ সুপারকে পাশে পেয়ে নির্যাতিত ওই নারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য সবার মতো আমরাও মর্মাহত। ওই নারী কোনো দোষ করেননি। তিনি বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’ আত্মসম্মান নিয়ে পরিবারটি যেন সমাজে বসবাস করতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, মামলার আসামি লেহাজুদ্দিন বেপারী ও তাঁর স্ত্রী জরিনা বেগমকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার তরুণীর পরিবারটি যেন আর সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9c8bc8e7-9265-4cb1-939d-e33182e579e6 | ৩০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট ধামরাই উপজেলার প্রায় ছয় লাখ লোকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে থানা পুলিশ। তাই এ উপজেলায় আরেকটি থানার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ধামরাই উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে ঢাকা জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এটি। তাই উপজেলার এক পাশে থাকা একটি মাত্র থানার মাধ্যমে এখানকার প্রতিটি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্য দিয়ে চলে গেছে এশিয়ান হাইওয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যানবাহন চলাচল করে। এর সঙ্গে কালামপুর থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কটি সাটুরিয়া ও বালিয়া হয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মির্জাপুরে মিলিত হয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এ দুটি মহাসড়ক বর্তমানে যানবাহনের চাপে দিন-রাত ব্যস্ত থাকে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া দুটি মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় শিল্প-কারখানা। রয়েছে রপ্তানিমুখী কয়েকটি পোশাক কারখানা, কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, পল্লী বিদ্যুতের দুটি জোনাল অফিস, বিসিক শিল্পনগরী, আন্তর্জাতিক জুতার কারখানা, আন্তর্জাতিকমানের সিরামিক কারখানাসহ কয়েকটি জুট মিল। তা ছাড়া রয়েছে প্রায় ২৫০টি ইটভাটা। এসব প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক কর্মচারী-কর্মকর্তা চাকরি করেন। শুধু তাই নয়, ধামরাই পৌর শহরসহ জয়পুরা ও কালামপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শত শত শ্রমিক। তা ছাড়া এ এলাকায় দিন দিন শিল্প-কারখানা বাড়ছে। এসব বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকেই এ উপজেলায় আরেকটি থানা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
গত বছরের ৯ আগস্ট তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন প্রস্তাবিত নতুন থানার ভবন নির্মাণের ৯৮ শতাংশ খাস জায়গাও পরিদর্শন করেন। কিন্তু এর পর আর এ কাজের অগ্রগতি হয়নি।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধামরাইয়ে একটি থানা ও একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। এতে পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, উপসহকারী পরিদর্শক, কনস্টেবলসহ মোট ৮৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন। হিসাব করে দেখা যায়, ধামরাইয়ে গড়ে ছয় হাজার ৮০০ মানুষের নিরাপত্তায় মাত্র একজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘ধামরাইয়ে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জনগণকে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা দিতে পারছে না পুলিশ। ফলে নতুন থানা নির্মাণ করা হলে জনগণ দ্রুত সেবা পাওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে।’ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে আরেকটি থানার দাবি জানিয়ে এলেও তা পূরণ না করায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছে বলে জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
ধামরাই থানার ওসি মোহাম্মাদ রিজাউল হক বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে ধামরাইয়ে আরেকটি নতুন থানার প্রয়োজন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ধামরাই উপজেলা অনেক বড়। লোকসংখ্যাও বেশি। তাই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখানে আরেকটি নতুন থানা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ee697f55-b3e6-485b-bd31-681a413b16e2 | কারখানা-শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমিয়ে এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮’-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
শ্রম আইনকে শ্রমিকবান্ধব করার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক ক্রেতা জোট ও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শ্রমিক সংগঠন সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। তাদের চাপের মুখে ২০১৩ সালে শ্রম আইন সংশোধন করা হলেও তা যথেষ্ট হয়নি বলে এসব সংস্থা আবার সংশোধন করে তা শ্রমিকবান্ধব করার জন্য চাপ দেয়। গতকাল এ আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইন ভেটিং (আইনি মতামত) করে পুনরায় মন্ত্রিসভা বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন করিয়ে সংসদে বর্তমান সরকারের মেয়াদে পাস করানোর চেষ্টা করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আগামী ৯ জুন দশম সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হবে। এই অধিবেশনে শ্রম আইন পাস করানোর বিষয়টি গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে। বৈঠকে একজন মন্ত্রী আইনটি ভেটিংসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন।
বৈঠক শেষে একজন মন্ত্রী কালের কণ্ঠকে মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় জানিয়ে বলেন, দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই শ্রম আইন পুনরায় মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হবে। এরপর সেটা সংসদের শেষ অধিবেশনে পাস করানো হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং করতে সময় লাগবে না। আন-অফিসিয়াল ভেটিং হয়ে গেছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ভেটিং করানো হবে। আইএলওর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করার আগে সংশ্লিষ্টরা আইন মন্ত্রণালয়ের অলিখিত অনুমোদন নিয়েই তা করেছেন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন তোলেন, সংবাদিকরা কেন শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্ত? সাংবাদিকরা তো শ্রমিক না। প্রধানমন্ত্রী শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হককে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য বলেন। এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে জানান, সাংবাদিকরা শ্রম আইনের আওতায় কেন, তা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। তবে সাংবাদিকরা এই আইন থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো প্রস্তাব দেননি। তাঁরা প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখা হবে।’
বৈঠক শেষে একজন মন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত শ্রম আইনের খসড়ায় শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে, তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। আগে ১২ বছরের শিশুরা হালকা কাজের এ সুযোগ পেত।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি জানান, ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক সদস্য পদ কমানো হয়েছে। এত দিন ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন না পেলে ট্রেড ইউনিয়ন করা যেত না। সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন মিললে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। কোনো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার ৫৫ দিনের মধ্যে সরকারকে নিবন্ধন দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) চাহিদা অনুযায়ী শ্রমবান্ধব নীতি সব জায়গায় কার্যকর করতে শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, নারী শ্রমিক প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাসহ প্রসবের পরে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকতে পারবেন।
কোনো কারখানায় ২৫ জনের বেশি শ্রমিক থাকলে তাদের জন্য পানির ব্যবস্থাসহ খাবার ঘর রাখতে হবে, সেখানে বিশ্রামেরও ব্যবস্থা থাকতে হবে। শ্রমিকরা ইচ্ছা করলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করে পরে তা উৎসব ছুটির সঙ্গে ভোগ করতে পারবে। উৎসবের ছুটিতে কাজ করালে এক দিনের বিকল্প ছুটিসহ দুই দিনের ক্ষতিপূরণ মজুরি দিতে হবে।
তিনি জানান, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ শব্দটি শ্রম আইন থেকে বাদ দিয়ে সেখানে ‘কিশোর’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। আগে ১২ বছর বয়সী শিশুরা কারখানায় হালকা কাজের সুযোগ পেত। সংশোধিত আইন অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। সংশোধিত শ্রম আইন পাস হলে খাবার ও বিশ্রামের সময় বাদে টানা ১০ ঘণ্টার বেশি কোনো শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, বল প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক রাখা, শারীরিক আঘাত এবং পানি, বিদ্যুৎ বা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বা অন্য কোনো পন্থায় মালিককে কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করলে তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
শ্রমিকরা বেআইনি ধর্মঘটে গেলে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ধর্মঘট করতে আগে দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন থাকলেও সংশোধিত আইনে ৫১ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন থাকার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত আইন পাস হলে শ্রম আদালতগুলোকে মামলা দায়েরের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে রায় দিতে হবে। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে রায় দিতে হবে। আপিল ট্রাইব্যুনালেও রায় দেওয়ার একই বিধান কার্যকর হবে।
শফিউল আলম জানান, কোনো মালিক নারী শ্রমিককে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো মালিক বা শ্রমিক অসৎ শ্রম আচরণ করলে এক বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে দুই বছর সাজার সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
বেআইনি ধর্মঘট করলে আগে এক বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হতো। সংশোধিত আইনে এই সাজা কমিয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাজা আগের মতো পাঁচ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে এক মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। আগে এই অপরাধে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হতো।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, শ্রমিকরা কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মারা গেলে এক লাখ টাকার বদলে দুই লাখ টাকা এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে সোয়া এক লাখ টাকার পরিবর্তে আড়াই লাখ টাকা পাবেন। কোনো ব্যক্তি কোনো শিশু বা কিশোরকে চাকরিতে নিযুক্ত করলে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নতুন আইনে প্রধান পরিদর্শকের পদকে হালনাগাদ করে মহাপরিদর্শক এবং উপপ্রধান পরিদর্শকের পদকে অতিরিক্ত প্রধান পরিদর্শক করা হয়েছে। এ ছাড়া যুগ্ম মহাপরিদর্শক, উপমহাপরিদর্শক এবং সহকারী মহাপরিদর্শক ছাড়াও বেশ কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
সংশোধিত শ্রম আইন ইপিজেড এলাকার কারখানার জন্য প্রযোজ্য নয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, তবে বিদ্যমান আইনগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
37e8544f-0623-468f-85b4-2a45946b7db0 | সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গতকাল সোমবার থেকে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ছয় জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল এ কর্মসূচি শুরু হয়নি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষ না হওয়া, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তা ‘পুষ্টি চাল’ না আসা, ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়া, কমিটি চূড়ান্ত না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন। তবে গতকাল থেকে এই চাল পাওয়ার অধীর আগ্রহ ছিল বলে জানিয়েছে অনেক উপকারভোগী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ২০১৬ সালে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি বছর দুই দফায় মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
বরিশাল : নিয়ম অনুযায়ী গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরুর কথা। কিন্তু ছুটির কারণে দুই দিন পর এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বরিশালে তা শুরু হয়নি। বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে। কারণ এ বিভাগে ওই দিন বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে।
বামনা (বরগুনা) : বরগুনার বামনা উপজেলায়ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়নি। কিন্তু এ উপজেলার প্রায় চার হাজার উপকারভোগী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে চাল বিক্রির জন্য। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ কর্মসূচি শুরু হতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ জানালেও স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলায়ও ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি শুরু হয়নি। জেলা খাদ্য অফিস জানিয়েছে, এবার জেলায় এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ২১২ জন। কিন্তু গতকাল ডিলাররা চাল উত্তোলন করেনি।
কুড়িগ্রাম : দারিদ্র্যপীড়িত এই জেলায়ও গতকাল ১০ টাকা দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়নি। কুড়িগ্রামের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মুহিবুল জানান, ছুটির পর ডিলারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি চলছে। আশা করা হচ্ছে দু-তিন দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
হবিগঞ্জ : এই জেলায়ও গতকাল থেকে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হয়নি। হবিগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কমিটি গঠনসহ আরো অনেক কাজ বাকি আছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়াও গতকাল এই কর্মসূচি শুরু হয়নি। সদর, আখাউড়া ও সরাইল উপজেলায় দায়িত্বে থাকা খাদ্য কর্মকর্তা কাওছার সজীব জানান, বিভিন্ন জায়গায় ডিলার নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি চূড়ান্ত না হওয়ায় গতকাল এ কর্মসূচি শুরু হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
f8419907-6ee4-4b91-9057-c694c8fe78f3 | বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পথে হাঁটছে। এখানে জনগণের রায় দেওয়া ও নেওয়ার কোনো পথ খোলা রাখা হচ্ছে না। এ অবস্থায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আর ঐক্যবদ্ধ জনগণই এই সরকারের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের একটি অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। এখন তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা পথে এগোচ্ছেন। জনগণের রায় নেওয়ার কোনো পথ দেখতে পাচ্ছি না। সব দল সমান সুযোগ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে—সেই ইচ্ছাও তাদের নেই।
নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবে হবে, এটা ঠেকানোর শক্তি কারো নেই—প্রধানমন্ত্রীর এ রকম বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা তো তিনি (শেখ হাসিনা) বলেই আসছেন। এসব কথা বলেই তো তাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান, রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে তাঁরা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চান। জনগণকে এখানে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁদের ষড়যন্ত্র পরাজিত করবে।
আলোচনার পথ নাকচ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, বিএনপির সামনে এখন পথ জনগণ। জনগণই এর উত্তর দেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনীতিতে এখন বড় সংকট হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, যা দেশের মানুষের দাবি। সেই দাবিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দিয়েছেন এবং বলেছেন যে সংবিধান অনুযায়ী সব কিছু হবে। কিন্তু সংবিধান তো মানুষের তৈরি করা। এর আগে যে সংবিধান ছিল সেটা তো তাঁরাই পরিবর্তন করেছেন। সংবিধান তো অসংখ্যবার কাটছাঁট করে তাঁরা তাঁদের সুবিধামতো করে নিয়েছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
dc46c660-ceca-4037-8fb1-63acb87523c5 | কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি ক্রমে পাল্টে যাচ্ছে। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩০টি শিবির আশান্ত করে তোলার চেষ্টা চলছে। শিবিরে খুন-রাহাজানি, অপহরণ নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠছে। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয় দিয়ে উগ্রপন্থী রোহিঙ্গারা অপহরণ করে ছয়জন নিরীহ রোহিঙ্গাকে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গলাকাটা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার নেপথ্যে বেশ কিছু এনজিও সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিবিরে আনাগোনা বাড়ছে বিদেশিদের।
রোহিঙ্গা শিবিরে গোপনে বিদেশিদের আনাগোনায় জঙ্গি তৎপরতার বিস্তার ঘটানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। গত কয়েক দিনে সিরিয়া থেকে বেশ এসে বেশ কিছু লোক রোহিঙ্গা শিবিরে প্রবেশের কথাও জানা গেছে। এ খবর জানার পর গতকাল থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। বিদেশিদের নিয়ে কুতুপালং শিবিরের একটি মাদরাসায় গতকাল একটি সভা ডাকা হলেও পরে প্রশাসনিক পদক্ষেপে তা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
কুতুপালং ডি-ওয়ান ব্লকের হাফেজ নঈমের মাদরাসায় সভাটি ডাকা হয়েছিল। ওই সভায় সিরিয়া থেকে আসা কয়েকজন থাকার কথা ছিল। কুতুপালং শিবিরের সব মাদরাসায় একই পদ্ধতির আরবি লেখাপড়া করার পরামর্শ সভার কথা বলে শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে সভার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তবে মাদরাসা পরিচালক রোহিঙ্গা হাফেজ নঈম জানান, কোনো বিদেশি আসার খবর তিনি জানেন না। আমন্ত্রিতদের বেশির ভাগ উপস্থিত না হওয়ায় সভা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রোহিঙ্গারাই মিয়ানমারের রাখাইনে ‘আল ইয়াকিন’ বা ‘আরসা’ নামের সংগঠনের সদস্য হিসেবে পরিচিত। তাদের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত বেশ কিছু এনজিও কর্মীর সঙ্গে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বেশ কিছু এনজিও দীর্ঘদিন ধরে তৎপর রয়েছে শিবিরে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাতে। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে তাদের তৎপরতা ব্যর্থ হয়েছে। তার পরও জঙ্গিবাদসংশ্লিষ্ট এনজিওগুলো নানাভাবে তৎপর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, রাখাইনে আল ইয়াকিন ও আরসা নামে পরিচিত সংগঠনের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বেশ কিছুসংখ্যক বিদেশি কুতুপালং ও বালুখালী শিবিরে ঢুকে পড়েছে। এরা সিরিয়া থেকে এসেছে বলেও তারা জানতে পেরেছেন। লোকজনের মুখে তাঁরা শুনেছেন এই বিদেশিরা প্রশিক্ষণ দিতে এখানে এসেছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নির্যাতনের বর্ষপূর্তিতে রোহিঙ্গারা বড় সমাবেশ করতে পেরে একটু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাস্তবে তারা এমন কিছুই করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শিবির সরেজমিনে তদারকি করেন।’
সীমান্তবর্তী এলাকার ৩০টি শিবিরে ১১ লাখ রোহিঙ্গার পর্যাপ্ত খাবার, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকলেও পরিস্থিতি কেন অস্থিশীল হয়ে উঠছে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
অভিযোগ উঠেছে, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নির্যাতনের বর্ষপূর্তি এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত বেশ কিছু এনজিও গোপনে শিবিরে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানি কয়েকটি এনজিও রয়েছে। ‘আল খিতমাত’ এবং ‘শুরা’ নামে পাকিস্তানভিত্তিক দুটি এনজিও নিয়ে নানা কথা উঠেছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা পাকিস্তানভিত্তিক এসব এনজিওর হয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে গোপনে কাজ করছে। কিন্তু সরকারি তালিকায় এসব এনজিওর নাম নেই। কিন্তু গোপনে তারা ঠিকই তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র শীল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিওগুলোর তালিকায় পাকিস্তানভিত্তিক কোনো এনজিওর নাম নেই। তবুও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
অপহৃত তিন রোহিঙ্গা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার
টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন রোহিঙ্গাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনেরই গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলো বালুখালী শিবিরের ই-ব্লকের নুর আলম (৪৫), মো. আনোয়ার (৩৩) ও কুতুপালং ডি-ব্লকের মো. খালেক (২২)। এ ছাড়া গতকাল দুপুরে আহত খালেকের বাবা অপহৃত মোস্তফাসহ তিনজন পালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসে উপস্থিত হয়েছেন। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি।
টেকনাফ থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে রবিবার রাত দেড়টার দিকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে ছয়জন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতদের টেকনাফ উপজেলার চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা তিনজনের গলায় চুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় রোহিঙ্গাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা রাখাল রোহিঙ্গা শিবিরে খবর দেয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে উদ্ধার করে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া আরো জানান, তিনি জানতে পেরেছেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি সাধারণ রোহিঙ্গা, অন্যটি সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা। সন্ত্রাসীরাই সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন-অত্যাচার চালিয়ে আসছে।
অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমানকে (২২) একটি এলজি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ গতকাল ভোরে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
53f1f980-9e63-4a27-abca-ec27c3146798 | ‘আসল সত্য’ প্রকাশের নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী শুধু ছবি নিয়েই জালিয়াতি করেনি, ডাহা মিথ্যাচার করেছে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা নিয়েও। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগ প্রকাশিত গ্রন্থে ছক আকারে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০১৭ সালের চেয়ে এ বছর প্রায় পাঁচ কোটি কমে গেছে। আর তারা মিয়ানমারে পাড়ি দিয়েছে—এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রকাশনায় একটি মনগড়া ছক দিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়া-কমার হিসাব দেখানো হয়েছে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১১ কোটি ৮৭ লাখ ছয় হাজার ৮৭১ জন ছিল বলে উল্লেখ করে ২০০০, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫, ২০১৬ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা ২ থেকে ১ শতাংশ হারে বেড়েছে বলে মিয়ানমার দাবি করেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫১ জন। কিন্তু ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৯ জন। অর্থাৎ মিয়ানমারের সেই প্রকাশনা অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশে লোকসংখ্যা চার কোটি ৮৩ লাখ এক হাজার ৬০২ জন কমেছে।
মিয়ানমারের প্রকাশনায় ধারণা দেওয়া হয়েছে, যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ ছেড়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গিয়ে অবৈধ বসতি স্থাপন করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, মিয়ানমার বাহিনীর প্রপাগান্ডা ইউনিটের ১১৭ পৃষ্ঠার গ্রন্থে প্রকাশিত আটটি ছবির মধ্যে তিনটিই ভুয়া। সেই ছবিগুলোর একটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার, যেটিকে মিয়ানমার বাহিনী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ বলে দাবি করেছে। এ ছাড়া রুয়ান্ডার শরণার্থীদের তানজানিয়ামুখী ঢল এবং বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে নৌকায় করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ামুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুটি ছবিকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ বলে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে। এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গতকাল সোমবার তাদের প্রকাশনায় ভুল ছবি ব্যবহারের কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ওই গ্রন্থের আটটি ছবির মধ্যে সাতটিই এরই মধ্যে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। রাখাইন থেকে অনেক দূরে মেইকতিলা শহরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাস হিসেবে দাবি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে মেইকতিলা শহরের সহিংসতা ও জরুরি অবস্থা জারির সেই ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। সেই ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ছবিটি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণামূলক গ্রন্থে জুড়ে দিয়েছে মিয়ানমার বাহিনী।
আরেকটি ছবি যশোরের অভয়নগরে কৃষকদের চাষাবাদের। বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে ইউটিউবের একটি ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে তার রং পাল্টিয়ে মিয়ানমার বাহিনী তাদের গ্রন্থে লিখেছে, ব্রিটিশরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এনে চাষাবাদ করায়।
মিয়ানমার বাহিনীর এসব অপপ্রচার নিয়ে গত রবিবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্ন উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের এমন তৎপরতাকে ‘জঘন্য’ বলে অভিহিত করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d7e495e1-67a3-4a6a-8536-fa327dda1d14 | অতিরিক্ত বিলের চাপে কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নবজাতক সন্তানকে রেখে পালিয়ে গেছেন মা-বাবা। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুই লক্ষাধিক টাকা বিল আদায় তো দূরে কথা, ফেলে যাওয়া শিশুটির রক্ষণাবেক্ষণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর জেলা সিভিল সার্জন আশ্বাস দিয়েছেন, বাচ্চাটির চিকিৎসার ব্যয়ভার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বহন করা হবে। তবে চিকিৎসাসেবায় জড়িতদের আরো মানবিক হওয়ার আহ্বান তাঁর।
গত ১৮ আগস্ট অপরিণত ও অপেক্ষাকৃত কম ওজনের সন্তানকে বাঁচাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসেন চাঁদপুরের শাহ আলম ও রোকেয়া দম্পতি। চিকিৎসার জন্য সন্তানকে ভর্তি করান নগরীর ঝাউতলার সিভিক স্কয়ারের মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালে। ছয় দিন চিকিৎসার পর ২৪ আগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের হাতে তুলে দেয় দুই লক্ষাধিক টাকার বিলের রসিদ। বিলের ফিরিস্তি দেখে আইসিইউতে থাকা সন্তান ফেলে পালিয়ে যান দারিদ্র্যপীড়িত মা-বাবা। বিষয়টি এখন গড়িয়েছে পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন পর্যন্ত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, মাত্র ৭০০ গ্রাম ওজন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নবজাতকের চিকিৎসায় ইতিবাচকভাবে সব কিছু চলছিল। এই কয়েক দিনে বেশ আরোগ্যও হয় শিশুটির। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় বিল নিয়ে। ষষ্ঠ দিনে নবজাতকের চিকিৎসার বিলের পরিমাণ ওই দম্পতিকে জানানো হয়। ছয় দিনে দুই লাখ টাকা বিল হয়েছে। ওই বিল দেখেই সবার অজান্তে সন্তানকে হাসপাতালের এসআইসিইউতে রেখে গত ২৪ আগস্ট হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান দম্পতি। দিনভর মা-বাবার সন্ধান না পেয়ে ওই শিশুর বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সোমবার ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা খরচ দুই লাখ ৩০ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানান কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বদিউল আলম।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শিশুটির চিকিৎসা খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবায় অনেকটা এগিয়ে গেলেও মানবিক দিক দিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছি।’ চিকিৎসাসেবায় জড়িতদের আরো মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যয়ভারের কারণেই নবজাতকটির মা-বাবা পালিয়ে গেছেন। তবে হাসপাতালে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আবু সাঈদ মো. তারেক জানান, শিশুটি আগের চেয়ে সুস্থ আছে। তবে তার এখন মায়ের বুকের দুধ প্রয়োজন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
b274c2f1-38af-42d9-815c-eddec2bd2b35 | দুর্নীতি দমন কমিশন শেয়ারবাজার থেকে সাড়ে ৬৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পাঁচ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছে। ঢাকার রমনা মডেল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। এজাহারে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে উল্লম্ফনের সময় কারসাজির ঘটনাগুলো ঘটে। আইসিবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কম্পানি লিমিটেডের (আইএসটিসিএল) কিছু কর্মকর্তা গ্রাহককে অনিয়মের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ করে দিয়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
গতকাল সোমবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ১২ মামলায় মোট আসামি ১৫ জন। প্রতিটি মামলায় আসামি হয়েছেন আইসিবির পাঁচ কর্মকর্তা। দুদক সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের শেষ দিকে এসংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে ৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে এবং আইসিবির বেশ কিছু কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার আসামিরা হলেন আইসিবির সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিপু সুলতান ফারাজি, তিন সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. এহিয়া মণ্ডল, মো. সামছুল আলম আকন্দ ও শরিকুল আনাম এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার। অন্য আসামিরা হলেন—আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদ ও তাঁর স্ত্রী নাসিমা আক্তার; তেজগাঁও স্টাফ কোয়ার্টারের এ কে এম রেজাউল হক ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা; মোহাম্মদপুর খিলজী রোডের লাইলা নুর; তেজগাঁও মনিপুরিপাড়ার এ কে এম আতিকুজ্জামান; গ্রিন রোডের কাজী মাহমুদুল হাসান; গুলশানের শেখ মেজবাহ উদ্দিন ও তাঁর মেয়ে শিমা আক্তার এবং শ্যামলীবাগের বুলবুল আক্তার।
এজাহারে বলা হয়, বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের মালিকদের মার্জিন ঋণের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে শেয়ার কেনার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডেবিট স্থিতির ওপর টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ২০০৯ সালের শেষের দিকে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির সময় সরকারি অর্থে অস্বাভাবিক ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পরে শেয়ারের দর পড়ে গেলে সরকারের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়। প্রমাণ পাওয়া গেছে, মার্জিন ঋণের সীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ হিসাবধারীকে আইএসটিসিএলের কর্মকর্তারা সুবিধা দিয়েছেন এবং বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
গত ৩০ আগস্ট ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিন কোটি সাত লাখ ৫৮ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে টিপু সুলতান ফারাজি, এহিয়া মণ্ডল, সামছুল আলম, ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার, মো. আবদুস সামাদ ও মো. শরিকুল আনামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই দিনই টিপু সুলতান, এহিয়া মণ্ডল ও সামাদকে গ্রেপ্তার করে দুদক। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
22b4dc28-c4ad-44ba-a29d-8f729eeb9a31 | যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ‘অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা’ (জিএসপি) ফেরত নয়, বরং পোশাক পণ্যের যথার্থ দাম ও বড় বিনিয়োগ চাইবে বাংলাদেশ। আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ টিকফা বৈঠকের প্রাক্কালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরাম চুক্তির (টিকফা) আওতায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৈঠকে তাঁর দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
জানা গেছে, আসন্ন টিকফা বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে সম্প্রতি ঢাকায় বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। টিকফা বৈঠকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বড় বিনিয়োগ চাইবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ তার তৈরি পোশাক পণ্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাবে।
তবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর জিএসপি সুবিধা ফেরত চাইবে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার পর তা আবারও ফিরে পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে বলে ঢাকা মনে করে। এর পরও যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি ফেরত না দেওয়ার বিষয়টিকে ওই দেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের এশিয়াবিষয়ক কার্যালয়ের নির্বাহী জেমস গোল্ডেন গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ওই সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জিএসপি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার আর দরকার নেই। জিএসপি সুবিধা ছাড়াই বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আর জিএসপি সুবিধা চাইবে না; যুক্তরাষ্ট্র দিতে চাইলে দেবে। তবে এর আর প্রয়োজন আছে বলে বাংলাদেশ মনে করে না।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে পোশাক কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় তুলার উৎস হতে চায়। বর্তমানে বাংলাদেশে তুলা আসে ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে নিজের সম্ভাবনা দেখছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির সুযোগ চাইতে পারে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
7e69f2cb-df9d-4473-9681-f3107f4c3431 | ভারতের নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। সম্মেলন চলবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো সুসংহত করতে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির (সীপকস) সভানেত্রী সোমা ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারত সফর করছেন। সীপকস প্রতিনিধিদল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে এবং অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবে।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি ও হত্যা বন্ধ, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ভায়াগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট ইত্যাদি চোরাচালান বন্ধ, নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রেপ্তার বা আটক না করা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম অথবা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনির ভেন্যুসমূহে দর্শকদের জন্য সীমান্তের দুই পাশে একই ধরনের গ্যালারি নির্মাণ, সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’-এর আওতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।
ভারত সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাসস।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
4d68bdf5-b153-4ebe-9fb8-bdeeafc4a43a | দুর্গম চর। নেই কলরব, চারদিক সুনসান। সেখানেই টার্কি মুরগি আর ছাগলের খামার। দিনের আলোতে তাদের এসব খামারেই যত ব্যস্ততা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে নিজেরাও হয়ে ওঠে ‘ভালো মানুষ’। অনেকে আবার নিরাপদ স্থানে থেকে গ্রাম্য চিকিৎসকেরও কাজ করে। কিন্তু রাতের আঁধারে বেরিয়ে আসে তাদের নিকষকালো রূপ। তারা হাতে তুলে নেয় চাপাতি, বোমা, গ্রেনেড আর আগ্নেয়াস্ত্র। সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মার্শাল আর্টের কসরতও চলে। গ্রাম থেকে শহরে এসে একেকজন হয়ে ওঠে পাকা অভিনেতা। কেউ ভ্রাম্যমাণ বাদাম বিক্রেতা, চা দোকানদার আবার কেউ ফেরিওয়ালা। এভাবেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বর্তমান কর্মকাণ্ড চলছে বলে জানিয়েছে জঙ্গি আবদুর রাজ্জাক। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পেরেছে র্যাব।
শুধু রাজ্জাকই নয়, সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্য মহিবুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ওরফে বিল্লাল, শামীম আহাম্মদ ও দেলোয়ার হোসেন; চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকতারুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান এবং বরিশালের আব্দুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় একই রকম তথ্য দিয়েছে।
উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে সাকিব নামে একজন জেএমবির নেতৃত্ব দিচ্ছে জানিয়ে এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাকিবের সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন ছাত্র রয়েছে। তারাও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। সাকিব উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মার চরের এই গ্রুপের দলনেতা। সে কখনো নিজেকে রাকিব, সফিক পরিচয় দিয়ে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায়।
র্যাব পুলিশের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে মারা গেলেও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেমে নেই। নতুন করে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কারাগারে থাকা নেতারাও বিশেষ কৌশলে বাইরে থাকা জঙ্গি সদস্যদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে সারা দেশে বিশেষ কাটআউট পদ্ধতিতে তারা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ের নেতাদের মাধ্যমে জেএমবি সদস্য বাড়াতে তৎপর রয়েছে। তাদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি উগ্র-মৌলবাদে বিশ্বাসে কিছু ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের গোপন আঁতাত রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেতে পারে। নির্বাচনের আগে ঢাকাসহ জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামপর্যায়ে নির্বাচনের মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে। ধর্মভীরু নারী-পুরুষকে কৌশলে দলে টেনে হামলা নাশকতায় কাজে লাগাতে পারে। সেই সঙ্গে সুযোগমতো রাজনৈতিক সমাবেশেও তারা হামলা চালাতে পারে। এ ধরনের ভয়াবহ আগাম তথ্য পেয়ে এরই মধ্যে গোয়েন্দারা মাঠপর্যায়ে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছেন। গত কয়েক মাসে সারা দেশে গ্রেপ্তার হওয়া অর্ধশতাধিক জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার করা করা হলেও এখনো অনেক জঙ্গি সদস্য অধরা রয়ে গেছে।
পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য মতে, জেএমবিতে এখনো অনেক বোমা তৈরির কারিগর রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্যদের মধ্যে কেউ বলছে শতাধিক আবার কারো কারো মতে তার চেয়েও বেশি। এর আগে জেএমবির ২০ সদস্য শীর্ষ আল-কায়েদা নেতা মোল্লা ওমরের কাছে বোমার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তারা এখন দেশে। বাকিদের মধ্যে ২৫ জন রয়েছে, যারা সম্প্রতি ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া বোমা মিজানের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া। অন্যদের মধ্যে ১০ জন শীর্ষ জঙ্গি নেতা সোহেল মাহফুজের কাছে থেকে। আর ৪০ জন, অন্য জঙ্গি নেতা ওসমান, নাজমুল ও শিবলুর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। এভাবে প্রায় ১০০ প্রশিক্ষিত বোমার কারিগর সম্পর্কে তথ্য পেয়ে তাদের ধরার চেষ্টা করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্যদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সমরাস্ত্র প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, বোমার ব্যাটারি, গান পাউডার, ডেটোনেটর, চাপাতি, উগ্র জঙ্গিবাদী বই ও ধর্মীয় উসকানিমূলক প্রচারপত্রসহ বিস্ফোরক সরঞ্জাম ও ইলেকট্রিক সার্কিট উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম জঙ্গিরা দেশে নাশকতা চালানোর জন্য মজুদ করেছিল বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তারা র্যাবকে আরো জানিয়েছে, তাদের কাছে আরো বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা সরঞ্জাম মজুদ আছে।
জঙ্গিবাদের ব্যাপারে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা যত কাজই করি না কেন জঙ্গিবাদ থেকে র্যাব কখনো চোখ সরাবে না। জেএমবিসহ নতুন নতুন জঙ্গি সংগঠন যেগুলো আছে সেগুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।’ সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এখনো নানা ছদ্মবেশে জেএমবির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চলছে। জঙ্গিরা মূলত দেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা নষ্ট করতে সমরাস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ধর্মভীরু সহজ-সরল ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, নাশকতা সৃষ্টি ও জিহাদে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। সারা দেশে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অনেক বেড়েছে।
জেএমবি বর্তমানে একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রয়েছে জানিয়ে এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ঢাকাতেও জেএমবি সক্রিয় রয়েছে। তাদের কেউ ফুটপাতে চা বিক্রি করছে। কেউ ভ্রাম্যমাণ বাদাম বিক্রেতা। আবার কেউ বিভিন্ন অফিসের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার ও কেরানীগঞ্জের পাশাপাশি গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাদের এখনো অনেক সদস্য রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরে জেএমবির বড় একটি অংশ বাগেরহাটে অবস্থান করছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালেও তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এসব এলাকায় তারা ছদ্দবেশে অবস্থান করছে। অর্থের জোগান বাড়াতে ডাকাতির সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এনআইয়ের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জেএমবির কার্যক্রম বাড়ছে। মাঠপর্যায়ে তাদের অনেক সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বোমা বিশেষজ্ঞ।
র্যাব-১০-এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জেএমবি মাঠপর্যায়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কথা জানিয়েছে।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
2540e7aa-57cc-458f-9fa9-dc7b50622c2b | বান্দরবানের লামা উপজেলার নকশাঝিরি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই গোলাগুলি চলার সময় জনমনে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা কোন গ্রুপের সদস্য তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই গ্রুপে মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক রয়েছে বলে দাবি করছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রথমে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ব্যাপক চাঁদাবাজি চালায়। দুপুর ১২টার দিকে সেনা সদস্যরা যাওয়ার পর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। আধাঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির এই ঘটনায় উভয় পক্ষে শতাধিক রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহবুবুর রহমান বলেন, লামা উপজেলার ছোট বমু ও মেরাখোলা এলাকায় এক দল সন্ত্রাসী দোকানপাট ভাঙচুর, লুট এবং ব্যবসায়ীদের মারধর করছে খবর পেয়ে আলীকদম জোনের অধীন লামা সাবজোনের সেনা সদস্যরা ছুটে যান। সন্ত্রাসীরা সেনা জোয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকলে জোয়ানরাও পাল্টা জবাব দেন। লে. কর্নেল মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর নিরাপত্তাবিধানের সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লামা থানার ওসি আপ্পেলা রাজু নাহা জানান, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, সেনা-পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটে চিউনিপাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যায়। সেনাবাহিনীর দুটি ইউনিট ও পুলিশ সদস্যরা সম্ভাব্য এলাকাগুলো ঘিরে রেখেছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে জান্নাত রুমী জানান, জনগণের ওপর হামলার আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার এবং বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ধার্য করা চাঁদা না পেয়ে প্রতিশোধ নিতে এবং আতঙ্ক ছড়াতে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা গেলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে হামলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ সদস্যের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বম, মেরাখোলা, আবদুর শুক্কুরপাড়া, পোয়াংপাড়া ও নকশাঝিরি এলাকায় দোকানপাটে হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে ১১টি দোকান থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং একটি ফার্মেসিসহ পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। টাকা দিতে দেরি করলে সন্ত্রাসীরা দোকান থেকে বের করে ব্যবসায়ীদের মারধর করে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0f129575-3f22-41c3-906f-085692f111a5 | পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শরীয়তপুরে ও ফেনীতে দুজন নিহত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, দুজনই মাদক কারবারি। গত সোমবার শরীয়তপুরের পালং-ছয়গাঁও সড়কে পুলিশের সঙ্গে এবং গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেনীর ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন সুমন পাহাড় (২৬) ও মোহাম্মদ সুমন ওরফে লাল সুমন (৩৬)।
পালং থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত সুমন পাহাড় একজন চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদকের ১১টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন শরীয়তপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এসকেন পাহাড়ের ছেলে। দুই দিন আগে থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল সকালে তাঁর নিহত হওয়ার সংবাদ পায় পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, কয়েকজন মাদক কারবারি পালং-ছয়গাঁও রাস্তার পাশে অবস্থান করছে বলে সোমবার রাতে সংবাদ পাওয়া যায়। রাত আড়াইটার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পালং থানা যৌথ অভিযান চালায় সেখানে। স্থানীয় মেহগনি বাগানের ভেতরে অবস্থান করা মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুুড়লে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালালে সুমন পাহাড়ের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। সেখানে ৫১ পিস ইয়াবা, ১ কেজি গাঁজা, ছয়টি ককটেল ও একটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম জানিয়েছেন, সদরের সুলতানপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় র্যাব-৭-এর টহলদলের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলি হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত মাদক কারবারি ওই এলাকার মাদু মিয়ার ছেলে সুমন নিহত হন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8be06f7d-ce28-4b85-ab20-95e8e2c0c757 | বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল বুধবার ঢাকায় ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে’ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, শিগগিরই প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন হয়তো শুরু করব।’ কোনো তারিখ ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারিখ-টারিখ এখন বলতে পারব না। তিন হাজারেরও বেশি ক্লিয়ারেন্স (ছাড়পত্র) দিয়েছে (মিয়ানমার)। দেখা যাক।’ এ বছরের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই। দেখা যাক।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল ঢাকায় মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) মিলনায়তনে ‘রোহিঙ্গা সংকট : চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের সীমাবদ্ধতা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ায় ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজকে সাধুবাদ জানান। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন।
সেমিনারে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বন্ধুপ্রতিম ১২টি দেশের ২৩ জন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাসহ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের ৭৬ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।
সেমিনারে আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০১৮-তে অংশগ্রহণকারীদের একটি দল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ওই গবেষণাপত্রগুলোতে রোহিঙ্গা সংকটের নানা দিক, চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানের ব্যাপারে উপস্থাপিত বিষয়গুলো উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো মিয়ানমারে সৃষ্টি হয়নি। তবে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবেলায় যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাচ্ছে।
গতকাল মিয়ানমার সরকারের রাখাইন রাজ্যবিষয়ক এক তথ্য বিবরণীতে দাবি করা হয়েছে, ইতিপূর্বে মিয়ানমার ছেড়ে যাওয়া ছয় ব্যক্তি গত মঙ্গলবার রাখাইনের মংডু জেলার তং পিয়ো লেতে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ফিরে গেছে। তথ্য বিবরণীতে তাদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় উল্লেখ করা না হলেও তারা রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি সূত্রগুলো বলছে, গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে যায়নি। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এর আগেও দাবি করেছিল যে প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে গেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের ৪২ ও ৪৩ নম্বর খুঁটির মধ্যবর্তী এলাকায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গত সোমবার যৌথ টহল কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে মিয়ানমারের তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
528e831e-d4c9-48aa-99eb-da68f943e617 | নাশকতা পরিকল্পনাসহ নানা অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে। মেহেরপুরের গাংনীতে ১৩টি বোমাসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপি-জামায়াতের ২৩ কর্মীকে। রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৫ জনকে। দুর্গাপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো তিনজনকে। নাটোরে প্রতিমন্ত্রীর সভাস্থল থেকে হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মীকে। নওগাঁর মান্দায় গোপন বৈঠকের সময় আটক করা হয়েছে জামায়াতের স্থানীয় দুই নেতাকে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে জানা গেছে এসব তথ্য।
মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতের ২৩ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ধানখোলা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আক্তার হোসেন, আহসানুল হক আমিনুল, মিন্টু মিয়া, শের আলী, নজরুল ইসলাম, রায়হান কবির, রাশেদুজ্জামান রনি, জাফর ইকবাল, মইজউদ্দীন, আব্দুল মজিদ, সোনাহার, ইলিয়াস আলী, আব্দুল খালেক, বাবুল হোসেন, রেজাউল হক, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, খবির উদ্দীন, জাকারিয়া, জুলফিকার আলী, আব্দুল হামিদ, আরিফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন।
রাজশাহী : রাজশাহীতে গতকাল সকাল থকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ১৫ জনকে। ডিসি সাজিদ হোসেনের নেতৃত্বে নগরীর মতিহারের বুধপাড়া এলাকায় এ অভিযান চলে। এলাকা ঘিরে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ।
পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী, চারজন ওয়ারেন্টভুক্ত ও একজন মাদক মামলার আসামি।
এদিকে আগের রাতে দুর্গাপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। তাঁরা হলেন বহরমপুর গ্রামের যুবদল নেতা চয়েন উদ্দিন, শ্রীপুর গ্রামের জামায়াতের কর্মী হায়দার আলী ও শিবিরকর্মী শাহিনুর রহমান।
নাটোর : নাটোরের সিংড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলকের সভাস্থলে হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীন, যুবদলের কোষাধ্যক্ষ আবু আকরাম, শেরকোল ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রতন আলী, বিএনপিকর্মী আব্দুস সালাম ও নাজমুল।
জীিবননগর (চুয়াডাঙ্গা) : জীবননগর থানার পুলিশ জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মঈন উদ্দিন, হাসাদহ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি কবির হোসেন, ইউপি সদস্য জহুর আলম, বাঁকা ইউনিয়নের কর্মী কাউসার আলী ও মফিজুল রহমান।
মান্দা (নওগাঁ) : নওগাঁর মান্দায় মঙ্গলবার রাতে গোপন বৈঠকের সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জামায়াতের দুই নেতাকে। তাঁরা হলেন প্রসাদপুর খাড়াপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিন ও গাড়ীক্ষেত্র গ্রামের বজলুর রহমান।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e16d64c7-dbd9-4eb6-9ae3-bcc8a00a28a4 | তামাক কম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। গবেষণা প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘তামাক কম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক : এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০১৮।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, অনারারি প্রেসিডেন্ট, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, দি ইউনিয়নসহ তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গবেষণায় পাওয়া তথ্য উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর হাসান শাহরিয়ার।
গত ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন তামাক কম্পানির কার্যক্রম খতিয়ে দেখে এ গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়। এ ধরনের গবেষণা বাংলাদেশে প্রথম।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, তামাক কম্পানির অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ সূচকে এশিয়ার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। ব্রুনেই, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, ভিয়েতনামের পরে বাংলাদেশের অবস্থান।
তামাক কম্পানির সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ থাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়েছে। তামাক করসংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তামাক কম্পানির অংশগ্রহণ দেখা যায়। যেমন—জাতীয় বাজেট তৈরির সময় তামাক পণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে কম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়। তামাক কম্পানির সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে বিড়ির ওপর প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময় তামাক কম্পানিকে নানাভাবে সুবিধা প্রদানের তথ্য গবেষণায় পাওয়া গেছে। যেমন—রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে অবস্থিত কম্পানিকে তামাকজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান থেকে অব্যাহতি প্রদান।
কর প্রদান একটি আইনি বাধ্যবাধকতা হওয়া সত্ত্বেও এর জন্য তামাক কম্পানিগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে তামাক কম্পানির ব্যবসা উৎসাহিত হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে নির্বাহী কর্মকর্তাদের যোগাযোগ আরো বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম এখনো কম। এসব পণ্যের দাম বাড়াতে আগামী বাজেটে বাড়তি রাজস্ব আরোপে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ পথে তামাককে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশি তামাক কম্পানির সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি তামাক কম্পানির হস্তক্ষেপ বাড়ছে। অর্থনীতিতে এসব কম্পানির অংশ বাড়ছে। তাই এদের এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের তামাকবিরোধী কার্যক্রমের ফলে ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে তামাকের ব্যবহার ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তবে তামাক কম্পানির বিদ্যমান হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন পিছিয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
5b794828-7875-464b-8f32-fa903418ff98 | ‘খুলনা মডেলেই’ গত ৩০ জুলাই তিন সিটিতে ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ হয়েছে বলে দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটি মনে করে, এ কারণে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়েছে। সে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হওয়া দরকার বলেও মনে করে সুজন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ছাড়া হঠাৎ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা ঠিক হবে না বলে মনে করে সংগঠনটি।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন এই বক্তব্য তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে যাঁরা নির্বাচিত হলেন তাঁদের সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল ও ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “সার্বিক বিবেচনায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বহুলাংশে ‘খুলনা মডেলের’ই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ‘খুলনা মডেলের’ প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ ছিল : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা; বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা; নির্বাচনের দিনে জোরজবরদস্তি করা ও নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকা।”
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘খুলনা মডেলেই ৩০ জুলাই তিনি সিটিতে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনগুলো আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি সচেতন নাগরিকদের। ফলে আস্থাহীনতা বেড়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রতি।’ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হওয়ার দরকার আছে বলে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এবং আগে-পরে কী ধরনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, কার কী ভূমিকা হবে, সরকার গঠনের পর সরকারি ও বিরোধী দলের ভূমিকা কী হবে, সনদের শর্ত ভঙ্গ করলে কী হবে—সে বিষয়ে উল্লেখ থাকবে ওই স্মারকে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e5e02676-22d1-4773-aabe-890c004125d9 | অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বর্তমান সরকার যে আগ্রহ দেখাচ্ছে তাকে আমলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।
বার্নিকাট বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনপ্রক্রিয়া এমন হোক যেখানে বাংলাদেশিদের ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ থাকে। এই সরকারের সঙ্গে মিলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই প্রক্রিয়া ঠিক করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারও বলছে যে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। আর সরকার তা করছে, এমনটি আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ বার্নিকাট বলেন, পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এ মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আসন্ন সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অনেক ইস্যু উঠবে। তিনি নিশ্চিত যে ওয়াশিংটন সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোর দেবে।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরো জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুকে নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় আনতে পারে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সাধারণ পরিষদের সিরিয়ার আদলে স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত কাঠামো সৃষ্টিতেও যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে পারে।
জানা গেছে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া এখনো মিয়ানমারের জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করায় ওই পরিষদে জবাবদিহি কাঠামো সৃষ্টি কঠিন। তাই সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত কাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিকো জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রোহিঙ্গা গণহত্যাকে ‘গণহত্যা’ বলবে কি না, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধান্বিত। কারণ গণহত্যাবিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করলে তা ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য।
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করে যাচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বেশ কয়েকজন জেনারেল ও দুটি সামরিক ইউনিটকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো জবাবদিহিমূলক উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d98111a5-e4fd-46ea-840e-1a75d8c51ca9 | নাশকতা পরিকল্পনাসহ নানা অভিযোগে তিন জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২৯ জনকে। মেহেরপুরের তিন উপজেলায় বুধবার রাতে বিশেষ অভিযানে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ কর্মী-সমর্থককে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৫টি ককটেল। হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ জনকে। তারা বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি। অন্যদিকে হবিগঞ্জে পুলিশ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ৭১ জনকে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতা রয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে জানা গেছে এসব তথ্য।
মেহেরপুর : নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ বুধবার রাতে তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ কর্মী-সমর্থককে। তাদের কাছ থেকে ২৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম একযোগে রাতভর এ অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, গাংনী থানা পুলিশ ২৩ জন, সদর থানা পুলিশ ১৯ জন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
হবিগঞ্জ : পুলিশের অভিযানে হবিগঞ্জে ১৪ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে পরোয়ানাভুক্ত আট আসামি। বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামসুর রহমান ভূঞা।
ফরিদপুর : বুধবার রাতে ফরিদপুরে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৩টি। থানা ও ডিবি পুলিশের টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালায়।
ফরিদপুরের ডিআইও মো. আসলাম হোসেন জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ আটজন মাদক বিক্রেতা ও তিনজন মাদকসেবীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ১৪০ পিস ইয়াবা ও ৩৮০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। এ ছাড়া নিয়মিত মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত ৬০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3ff3843b-9804-45d1-ac39-2db27b148e9f | রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে মামলা হয়েছে। বালিয়াকান্দির ঘটনায় পুলিশ মনিরুল ফকির (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী জানান, তাঁর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের ইমান আলী সরদারের ছেলে আসাদ সরদার (২৫) তাকে প্রেমসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না পেয়ে সে তাঁর মেয়ের ক্ষতি করার জন্য তৎপর হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘরের দরজা ভিড়িয়ে মেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখেন মেয়ে ঘরে নেই। এ সময় তিনি কিছুটা দূরে চিৎকারের শব্দ পান। এগিয়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে তাঁর মেয়েকে ঘিরে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়েটি জানায়, রাত আড়াইটার দিকে আসাদ তার কক্ষে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক পাশের খড়ের গাদায় নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।
রাজবাড়ী থানার ওসি তারিক কামাল বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলায় অষ্টম ও নবম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতের এ ঘটনায় জড়িত মধুখালী উপজেলার আশাপুর গ্রামের মাইক্রোবাসচালক মনিরুল ফকির (২২) ও পার আশাপুর গ্রামের মজনু খানের ছেলে আল আমিন খান (২৫)।
স্থানীয় লোকজন মনিরুলের মাইক্রোবাস থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ওই চারজনকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকে ম্যানেজ করে মঙ্গলবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীটির সঙ্গে আল আমিন খানের এফিডেভিটের মাধ্যমে কথিত বিয়েও দেওয়া হয়। আর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াকান্দি থানায় মনিরুল ফকিরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম গতকাল দুপুরে জানান, এক ছাত্রীর বাবার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় মনিরুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত বুধবার ওই ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অন্য ছাত্রটিকে নাকি পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। তারা অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ffff33d4-39a2-4f84-b8b0-602695df4374 | দায় এড়াতে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে এখনো ‘জেনোসাইড’ (গণহত্যা) বলছে না যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো। ‘এথনিক ক্লিনজিং’ (জাতিগত নির্মূল) বলেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্বীকার করছে তারা। কারণ গণহত্যা প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক সনদ থাকলেও ‘জাতিগত নির্মূল’ ঠেকানোর সনদ নেই। ১৯৪৮ সালের ‘গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদান’ বিষয়ক সনদে গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশ সই করেছে। ওই সনদ অনুযায়ী, সই করা রাষ্ট্রগুলো ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।
রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে কাজ করছে—এমন কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংঘাতময় এলাকা নিয়ে প্রতিটি দেশেরই স্বার্থ আছে। বিশেষ করে, পরাশক্তিগুলোর বড় ধরনের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। ওই স্বার্থের কারণে তারা গণহত্যা ঘটলেও তা স্বীকার করতে চায় না। আর এর ফলে গণহত্যার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই মিয়ানমার সফলভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সিংহভাগকেই দেশছাড়া করেছে। রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে অবশিষ্ট যে দুই-তিন লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদের ওপর নানা বিধি-নিষেধ অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ওই কূটনীতিক বলেন, ১৯৮২ সালে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও সব নাগরিক সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে তাদের কয়েক দফায় দেশছাড়া করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে মিয়ানমার গত বছর নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করলেও রোহিঙ্গারা ফিরতে উৎসাহী হয়—এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের চলাফেরা, চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণসামগ্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে কার্যত তাদের দেশ ছাড়তেই বাধ্য করা হচ্ছে। বিশেষ করে মিয়ানমার সরকার রাখাইনে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছে না। এতে খাদ্যাভাবসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে রোহিঙ্গারা।
জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব এবং ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় গণহত্যার সময় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমবিষয়ক উপসমন্বয়ক চার্লস জেমস পেটরি গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘গণহত্যার সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক করে রোহিঙ্গাদের বাঁচানো যাবে না।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘আলোচনার সময় ফুরিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখন কাজ করতে হবে, নয়তো রুয়ান্ডার মতো তারা মিয়ানমারেও ব্যর্থ হবে।’
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আইনি নানা দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতকে (আইসিসি) জানিয়েছে যে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর আইসিসির পূর্ণ এখতিয়ার আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করেও যদি সেই অপরাধ তদন্তের উদ্যোগ নেয় তবে গণহত্যার চিত্র আরো স্পষ্ট হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ‘জাতিগত নির্মূল’ বলতে যা বোঝায় তাও অনেক গুরুতর অপরাধ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরাও জাতিগত নির্মূলের আওতায় সংঘটিত অপরাধগুলোকেও গণহত্যা সনদের আওতায় অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গণহত্যা প্রতিরোধ ও সুরক্ষার দায়িত্ববিষয়ক জাতিসংঘ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ‘জাতিগত নির্মূল’ আন্তর্জাতিক আইনে এখনো স্বতন্ত্র অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। ১৯৯০-এর দশকে সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ওই শব্দগুচ্ছের প্রচলন হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবেও ‘জাতিগত নির্মূল’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়েছে। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফৌজদারি ট্রাইব্যুনালও (আইসিটিওয়াই) এ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন, কিন্তু এর কোনো সংজ্ঞা দেননি।
অবশ্য গণহত্যা প্রতিরোধ ও সুরক্ষার দায়িত্ববিষয়ক জাতিসংঘ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন তদন্তে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের কমিশন তাদের অন্তর্বর্তী ও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জাতিগত নির্মূলের সংজ্ঞা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে একটি জাতিগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বলপ্রয়োগ বা দমন-পীড়নের মাধ্যমে উচ্ছেদ করাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ওই একই কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে নীলনকশা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা থেকে একটি বেসামরিক নৃগোষ্ঠী বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী উপায়ে বিতাড়িত করতে আরেকটি নৃগোষ্ঠী বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর তৎপরতার কথা বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের সেই কমিশন ‘জাতিগত নির্মূল’-এর আওতায় বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করতে সম্ভাব্য উপায়গুলোও চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক ও গ্রেপ্তার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন, বেসামরিক ব্যক্তিদের বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি সৃষ্টি, বেসামরিক লোকদের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আটকে রাখা, বেসামরিক ব্যক্তি ও বেসামরিক এলাকায় ইচ্ছাকৃত সামরিক হামলা বা হামলার হুমকি, বেসামরিক লোকদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার, সম্পদ ধ্বংস, ব্যক্তিগত সম্পদ ডাকাতি এবং হাসপাতাল, চিকিৎসাকর্মী ও রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্টের প্রতীকসংবলিত এলাকাগুলোতে হামলা উল্লেখযোগ্য।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদে এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে উঠবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ba5155cb-ced9-49fc-bb93-30719c80f83e | সরকারীকরণের দাবিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পুলিশের বাধায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর ৬৪ জেলায় মানববন্ধন, ১৫ সেপ্টেম্বর আট বিভাগে মানববন্ধন, ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান, ফিরোজ উদ্দিন, সহসভাপতি শাহনাজ পারভিন, ধরনি মোহন রায়, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সুমন কুমার, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক পরেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেন। এ সময় শিক্ষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখান থেকে পাঁচ শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। আটককৃত শিক্ষকরা হলেন আনোয়ার, বদরুল আমিন, নিগার সুলতানা, লিলা রানী দাস ও শেখ শিখা। আটককৃত শিক্ষকদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সরকার ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করে। শিক্ষকদের অভিযোগ, সে সময়ে বেসরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা যথাযথভাবে পরিসংখ্যান করা হয়নি। ফলে সারা দেশের চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
সরকারীকরণের দাবিতে তৃতীয় ধাপেও বাদ পড়া এই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রথমে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। পরে ২৬ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিও শুরু করেছিলেন তাঁরা। পরে তিনজন সচিবের আশ্বাসে ৭ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার বাদপড়া চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবির বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
94a3c33f-b8a8-451c-b4bf-57c7d149ed40 | গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবিগানের জম্পেশ আসর হয়ে গেল গোপালগঞ্জে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল ও বাংলাদেশ কবি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনি শংকর সরকার এবং সঞ্জয় সরকার এতে অংশ নিয়েছেন। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই আসরে গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে অসংখ্য শ্রোতা আসেন কবিগান শুনতে। শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ২৮৮তম আবির্ভাব দিবস পালন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ লোকনাথ সেবক সংঘ কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে এই আয়োজন করে।
কেন্দ্রীয় সর্বজনীন কালীবাড়ির ময়দানে নির্মিত মঞ্চে কবিগানের জমজমাট এই আসরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই কবিয়াল বাগিবতণ্ডা আর তর্ক-বিতর্কের যুদ্ধে লিপ্ত হন। শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে রাত জেগে তাঁদের মুনশিয়ানা উপভোগ করে।
কবিগানের এমন দৃশ্য বর্তমান সময়ে এসে গ্রাম-বাংলা থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ধাক্কায় এসব গানের শ্রোতা একদিকে যেমন কমে গেছে, তেমনি গায়কও কমে গেছে। তার পরও শেকড় সন্ধানী কিছু মানুষ আজও এ কবিগানকে খুঁজে বেড়ায় মনের অজান্তে। যেখানে এই গানের আসর বসার খবর পায়, ছুটে যায় সেখানে। একসময় এই অঞ্চলের শ্রোতারা কবি বিজয় সরকারের গান শুনত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। সে সময় গ্রাম-বাংলায় বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম ছিল কবি, জারি-সারি গান। তার মধ্যে কবিগান ছিল অন্যতম।
কথা হলো গান শুনতে আশা ভজন সাহা, বিধান চন্দ্র আঢ্য, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, অসীম রায়, সমীর রায়, রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, অনন্যা ভক্ত, প্রত্যাশা মণ্ডল, শিপ্রা বিশ্বাস, নির্ম্মলা মণ্ডল, অনুপম ভক্ত, বিনয় বিকাশ মজুমদার, পপি মণ্ডল, মিঠুন বালাসহ বেশ কয়েকজন শ্রোতার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, কবিগান শুনলে সমাজের ভালো-মন্দ জানা ও শেখা যায়। ধর্মীয় শিক্ষা পাওয়া যায়। অনেক আগে বেশি করে কবিগান হতো। এখন আর তেমন একটা আসর বসে না। তবে খবর পেলে কবিগান শুনতে দূর-দূরান্তেও চলে যাই।
মনিশংকর সরকার বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ ও ভাটি অঞ্চলে কবিগান আজও বেশ শেকড় গেড়ে আছে। কবিগানে বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে কোনো বিষয়ের ভালো-মন্দ দুটি দিক তুলে ধরা হয়। কারণ শুধু ভালো বললে মানুষ সেটা গ্রহণ নাও করতে পারে। এ জন্য মন্দ দিকটা বলে মানুষকে ভালোর দিকটি বোঝানো হয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী এই আনন্দ মাধ্যম টিকে থাকতে পারবে।
জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক লিটন সাহা (মনা) বলেন, বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন ধরে রাখতে এই কবিগানের আয়োজন। আগামী দিনেও এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো পালনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের বিভিন্ন সংগঠন কবিগান নিয়ে উদ্যোগ নিলে আজকের প্রজন্মকে এই সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কিশোর কৃষ্ণ চন্দ বলেন, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রম্মচারী ছিলেন দলিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়। তাঁর আবির্ভাব দিবসে তাই গ্রাম-বাংলার লোক-সংস্কৃতি কবিগানের আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
636f943e-4afb-43b8-8263-9feac99b3daa | রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানে বাস থামার কথা থাকলেও আগের মতোই যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা চলছে। ছবিটি গতকাল বিকেলে বিমানবন্দর সড়কের কাকলী থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
রাজধানীর আগারগাঁও মোড়ে আটটি লেনের মোহনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ট্রাফিক পুলিশ আর পথচারীদের ফাঁক দিয়ে ছুটছিল মিরপুরমুখী বাসগুলো। ওখানে রাস্তা পারাপারের কোনো ব্যবস্থাই নেই। মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল অনেক শিশু, নারী ও পুরুষ। কিন্তু যে কয়েকটি বাস চোখে পড়ে তার কোনোটির দরজা বন্ধ, কোনোটিতে দরজার পাদানিতেও ঝুলছিল যাত্রীরা। সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীতে ঠাসা একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-২০৮৬) ছুটছিল একটি ব্যক্তিগত গাড়ির (ঢাকা মেট্রো গ-২৩-১৪৯০) সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ফাঁক পেয়ে ওই সব যানবাহনের সামনে দিয়েই দৌড়ে রাস্তা পার হন জাহাঙ্গীর হোসেন। এতটা ঝুঁকি কেন নিলেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও দেখছি শুধু গাড়ি চলছেই। পাসপোর্ট অফিসের দিকে একটা জরুরি কাজে দ্রুত যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া ১৭টি নির্দেশনার একটি হলো, ঢাকায় বাস ও মিনিবাস চলাচলের সময় দরজা বন্ধ রাখতে হবে। গত মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠকেও পরিবহন নেতারা হাইড্রোলিক দরজা লাগানোর প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু গতকাল নগরীর বেশির ভাগ বাসের দরজা বন্ধ রাখতে দেখা যায়নি। পথে যেখানে-সেখানে যাত্রী তোলা হয়েছে।
গতকাল নগরের প্রধান সড়কে লেগুনা দেখা গেছে কম। আগারগাঁও ৬০ ফুট রাস্তা থেকে বাংলাদেশ বেতার ভবনের সামনে পর্যন্ত শতাধিক লেগুনা চলাচল করলেও সেগুলো মহাখালী বা গুলশানের দিকে যায়নি। ১৫৯টি রুটে প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার নিয়ন্ত্রিত চলাচলে বাসের ওপর চাপ পড়ে আরো বেশি। বিআরটিসির দোতলা বাসের দরজায় ঝুলে চলতে হয়েছে যাত্রীদের। এমনিতেই রাজধানীতে বাস কম। সম্প্রতি কড়াকড়ির কারণে তা আরো কমে গেছে। এ অবস্থায় প্রধান সড়কে লেগুনা চলতে না দেওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে। লেগুনা চলাচল করেছে বিভিন্ন সংযোগ সড়কে। এ কারণে লেগুনার নিয়মিত যাত্রীদের বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। নিরুপায় হয়ে অনেককে বেশি ভাড়ায় চলতে হয়েছে অটোরিকশায় কিংবা উবার-পাঠাওয়ের গাড়িতে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গত মঙ্গলবার নগরীতে ১২১টি বাস স্টপেজ নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে বাস্তবে বাস থামানো হচ্ছে যেখানে-সেখানে। বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. বাবুল মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পাবলিকগো ঠেলায় বাসের গেট বন্ধ করন যায় না। জ্যামে বাসের চাক্কা বন্ধ থাকলেও উইট্টা পড়ে।’ আগারগাঁওয়ে একই বাসে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাচ্ছিলেন মো. আসাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাস নাই, অনেকক্ষণ দাঁড়াইয়া আছি। বাসায় তো যাইতে হবে, তাই যুদ্ধ করতে হইতাছে।’
প্রায় দুই কোটি মানুষের ঢাকায় স্বাভাবিক সময়ে চলাচল করে প্রায় আট হাজার বাস। তবে পুলিশ ও বিআরটিএর অভিযানের ভয়ে বাস মালিক ও চালকদের একটি বড় অংশই রাস্তায় বাস নামাচ্ছে না। কারণ হয় বাসের ফিটনেস সনদ নেই কিংবা চালকদের বৈধ লাইসেন্স নেই। বিআরটিএর মিরপুর ও ইকুরিয়া কার্যালয়ে ছুটির দিনেও সেবা দেওয়া হচ্ছে। দুই কার্যালয়ে ফিটনেস সনদ দেওয়া হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। মিরপুর কার্যালয়ে গড়ে ৪২ সেকেন্ডে একটি ফিটনেস সনদ দেওয়া হচ্ছে। অথচ নির্দেশনা মেনে সনদ দিতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা লাগার কথা। প্রতিযোগিতা করে সেবা নিতে অনেককে গোপনে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েক দিন মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে ফিটনেস সেন্টার ছাড়াও ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, লাইসেন্স শাখার সামনে সকাল থেকেই ভিড় দেখা গেছে। ১ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ২০ দিনে ওই কার্যালয় থেকে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর থেকে বিআরটিএর কার্যালয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে ছুটির দিনেও। পরিবহন মালিক সমিতি ও বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, ফিটনেস সনদ নেওয়ার হিড়িক পড়লেও ঢাকার রাস্তায় আগের মতো বাস নামছে না। কারণ জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, দূরপাল্লার বাসসহ নগর পরিবহনের বাসচালকদের একটি অংশের কাছে হালকা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স আছে। বিআরটিএর কাছে বারবার শর্ত শিথিল করে পরীক্ষা নিয়ে এসব চালককে ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জের ধরে এখন বাস থাকলেও অভিযানের ভয়ে চালকরা বের হচ্ছে না রাস্তায়।
বিআরটিএর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ৬০ হাজার ৮৩। এসবের মধ্যে বাস, মিনিবাস ও লেগুনা প্রায় ৪৬ হাজার। ৩৯ হাজার বাস ও মিনিবাসের মধ্যে চলত মাত্র আট হাজার। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত গণপরিবহনের বিপরীতে পর্যাপ্ত লাইসেন্সধারী চালক নেই। আইন অনুযায়ী এ ধরনের গণপরিবহন চালাতে হলে চালকের অবশ্যই পাবলিক সার্ভিস ভেহিক্যাল (পিএসভি) সনদ লাগে। বিআরটিএ অনুমোদিত পিএসভি লাইসেন্সধারী পরিবহন চালক আছে ১০ হাজার ২৫৬ জন। এ অবস্থায় বিআরটিএর অভিযানে অবৈধ চালকদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। ফলে বাস নামানো হচ্ছে কম।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি চুক্তিভিত্তিক বাস চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কয়েক সপ্তাহ আগে। তারও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সমিতি তিনটি বাস কম্পানির সদস্য পদ বাতিল করেছে। তবে ওই ঘোষণারও শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ডিএমপি বলেছে, চালক ও অন্য পরিবহনকর্মীদের বেতনভুক্ত করতে হবে। ঢাকায় প্রায় ২০০ বাস কম্পানির মধ্যে বেশির ভাগ কম্পানির বাসই চলছে চুক্তিতে।
অ্যাসোসিয়েশন অব বাস কম্পানিজ (এবিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ২৯৮টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করা হয়েছিল। বিআরটিএ, ডিটিসিবি, ডিসিসি, ডিএমপি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি স্টপেজগুলোর অনুমোদন দিয়েছিল প্রায় ১৮ বছর আগে। কিন্তু সেসব স্টপেজে বাস থামত না। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের কাছে শাহ আলী প্লাজার সামনে ফার্মগেটমুখী বাসগুলো দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো হয়। মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘গাড়ি রাখা নিষেধ’। তবে গতকালও সেখানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিরপুরমুখী বাসগুলোতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।
শাহবাগে বারডেম হাসপাতালের সামনে গতকাল বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠাতে ও নামাতে দেখা গেছে। শাহবাগ হয়ে গুলিস্তান ও মতিঝিলগামী বাসের স্টপেজ নির্ধারণ করা হয়েছিল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে। শুধু কাউন্টার সার্ভিসের বাস ওই স্টপেজে থামত। শাহবাগ থেকে ফার্মগেটগামী বাসের স্টপেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিন ব্লকসংলগ্ন ফটকের কাছে। সেখানে কিছু বাস থামতে থামতে মেঘনা পেট্রল পাম্পের সামনে পর্যন্ত গিয়েও যাত্রী তোলে। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা কিংবা সায়েদাবাদ লেভেলক্রসিংও যেন আস্ত বাস স্টপেজ। বাংলা মোটরের ফেয়ারলি হাউসের সামনের বাস বেতে বাস থামতে দেখা যায় না।
কম্পানিভিত্তিক বাস নেটওয়ার্কের সুপারিশ : পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, কম্পানিভিত্তিক বাস চলাচলের পদ্ধতি প্রবর্তন হলে মালিক ও চালকরা লাভের জন্য এভাবে ছুটবে না।
ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় এই সুপারিশ করা হয়েছিল ১০ বছর আগে। এটার বাস্তবায়ন হলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থাকত না। বিশৃঙ্খলা কমে যেত।
১০ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : বিআরটিএর ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল ফার্মগেট, মহাখালী, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার্স, আমুলিয়া মডেল টাউন, নবীনগর, ধামরাই, শ্যামলী, কলেজগেট, বিআরটিএ মিরপুর, বিআরটিএ ইকুরিয়া, বিআরটিএ উত্তরা ও চট্টগ্রাম মহানগরে কার্যক্রম চালিয়েছেন। তাতে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর অধীনে ২৬৯টি মামলায় চার লাখ ৫২ হাজার ১৭০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় একজন চালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়, ১৯টি মোটরযানের কাগজপত্র জব্দ করা হয় এবং ১১টি মোটরযান ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
efe281dd-e3a2-4d17-9cfc-f84e31d74715 | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৭২.৩ শতাংশ। গত এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ০.৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই তথ্য তুলে ধরেন।
আগামীকাল শনিবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য সাক্ষরতার গুরুত্বকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাক্ষরতার কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে দিবসটির প্রচলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাক্ষরতা দিবস পালন উপলক্ষে আগামীকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সারা দেশব্যাপী নানা আয়োজনের উদ্বোধন করা হবে। এবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাক্ষরতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যমান তিন কোটি ২৫ লাখ নিরক্ষর ব্যক্তিকে সাক্ষরতা প্রদানের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা হবে। বিদ্যালয়বহির্ভূত আট থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে। ৫০ লাখ নব্য সাক্ষরকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে জীবিকায়ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এ অর্জনের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮ লাভ করে।
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিল ২০১৪ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করবে। দলটি টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতা পার করতে চললেও সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি। এর কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মৌলক সাক্ষরতা প্রকল্পটি মাঝখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দাতা সংস্থার বরাদ্দ বন্ধ ছিল। সরকার জিওবি থেকে বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প নিয়ে সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য যতক্ষণ একজন নিরক্ষর মানুষ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকার এটা চালিয়ে যাবে।’
প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তবায়ন করা যায়নি, প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে থাকা বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিগুলো ছেড়ে দিলে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তাঁদের দাবি প্রত্যাখ্যাতও হয়নি। বিষয়টি যুক্তিযুক্তভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলতে থাকবে বলে জানান গণশিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ ছাড়াও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
90972368-2a8d-469b-8a02-3914c1f9977f | রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্যসহ দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গেণ্ডারিয়ার লোহারপুল এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট স্টাফ রোডসংলগ্ন রেললাইনে যমুনা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান সেনা সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)। ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। তিনি সেনাবাহিনীতে করপোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসমিন ফারুক বলেন, ওই সেনা সদস্যের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া গত বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ইলিশ পরিবহনের একটি বাস মোড় ঘোরার সময় ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠালেও বাঁচানো যায়নি। বাসটি জব্দ করার পাশাপাশি চালককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গ্রাম থেকে আসা নয়ন (১২) এক মাস ধরে গেণ্ডারিয়া থানার লোহারপুল খালপাড় ১৭/বি কেপি রোডে মামার বাসায় থাকত। তার মামা মো. জনি জানান, সকালে প্রতিবেশী জলিলের টিনশেড বাসার চালে ঘুড়ি পড়ে গেলে নয়ন তা আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কারণে শিশুরা ওই চালে উঠত। তখন বাসার লোকজন বকাঝকা করত। এ কারণে ওই বাসার চালে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের তার রাখা ছিল।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
b3ced6ab-a049-4e63-b4a8-70567e227a28 | রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় কয়েক দিন ধরে তালাবদ্ধ থাকা একটি বাসা থেকে দুর্গন্ধ আসার পর দরজা ভেঙে পাওয়া গেল এক গৃহবধূর ঝুলন্ত ও গলিত লাশ। তাঁর নাম মোরশেদা জাহান (২২)। এ ছাড়া রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে শম্পা বিশ্বাস (২৬) নামে ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসার সপ্তম তলায় থাকতেন গৃহবধূ মোরশেদা। তাঁর ফ্ল্যাটের দরজা কয়েক দিন ধরে বন্ধ ছিল। গত বুধবার রাতে ওই বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকায় আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর গলিত লাশ উদ্ধার করে। তবে তাঁকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে স্বামী পালিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার এসআই মুকুল রঞ্জন বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত চলছে। ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী সজীব মিয়াও জড়িত থাকতে পারেন। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাঁর খোঁজ চলছে।
রামপুরায় নিহত শম্পা বিশ্বাস ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে গণিত বিভাগ থেকে এ বছর মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার সময় রামপুরায় বোনের বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই শিক্ষার্থী মাগুরা জেলার শালিকা উপজেলার খগেন্দ্র নাথের মেয়ে। ঢাকার রামপুরা তিতাশ রোড এলাকায় বোনের সঙ্গে তিনি থাকতেন। এর আগেও একবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন।
নিহত শম্পার মামাতো বোন বিউটি রানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে সাংবাদিকদের জানান, একটি ছেলের সঙ্গে শম্পার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের অবনতির কারণে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
রামপুরা থানা উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বলেন, শম্পা বিশ্বাসের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0ab4b7e7-85f3-4d92-9a56-3fdfae8a9fdc | নারীর প্রতি সব বৈষম্য বিলোপে জাতিসংঘের সিডও সনদের দুটি অনুচ্ছেদ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এই দুই অনুচ্ছেদে সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করলে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে তাঁরা মত দিয়েছেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান তাঁরা।
সিডও বাস্তবায়নে দেশের ৫৬টি মানবাধিকার সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় প্ল্যাটফর্ম ‘সিটিজেন ইনিশিয়েটিভস অন সিডও বাংলাদেশ’ (সিআইসি-বিডি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিডওসংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার আলোচনায় অংশ নেন ইউএন উইমেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শোকো ইশকাওয়া, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফারুক আহমেদ, নারী অধিকারকর্মী রোকেয়া কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রিনা রায় প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, পিতৃৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে যুগ যুগ ধরে নারীর প্রতি বৈষম্য এবং নির্যাতন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সিডও সনদ বাস্তবায়নে জাতিসংঘের পাশাপাশি রাষ্ট্র এবং তার নাগরিকদেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে। এ কাজ শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই।
আয়শা খানম বলেন, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার সিডও সনদে স্বাক্ষর করলেও সনদের চারটি অনুচ্ছেদে সংরক্ষণ আরোপ করে। নারী আন্দোলনের চাপে দুটি সংরক্ষণ প্রত্যাহার করলেও এখনো দুটি বহাল রাখা হয়েছে। এই দুটি অনুচ্ছেদে নারীর সম্পত্তির অধিকার এবং সাংবিধানিক ও পারিবারিকভাবে সমান অধিকার নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ তাদের সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করলে, দেশের চলমান অগ্রতি টেকসই হবে না। এ ছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হবে।
স্টেপস টুওয়ার্ডসের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, বাংলাদেশ এখনো সিডওর মৌলিক জায়গাগুলোতে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
165c40c3-7c78-496b-8f67-e0fd281afed6 | আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রচারের কৌশল হিসেবে ‘নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা’ শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটি নীলফামারীর সৈয়দপুর ও দিনাজপুরের বিরামপুরে আসছে।
এই ‘নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা’য় দলে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক, আহাম্মেদ হোসেন, দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে প্রতিনিধিদলটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্ত নগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারীর উদ্দেশে যাত্রা করবে। যাত্রাপথে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পথসভায় বক্তব্য দেবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যরা। বিকেলে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেবেন তাঁরা।
পরদিন রবিবার সকালে সৈয়দপুর সড়ক ও জনপথ দপ্তরের রেস্ট হাউসে রংপুর সড়ক জোনের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওবায়দুল কাদের। এরপর সকাল ১০টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং শেষে বিমানযোগে ঢাকা যাবেন তাঁরা।
এদিকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। এ উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ যৌথ সভা করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর সফল করতে শ্রমিক লীগ রেলওয়ে কারখানা ও ওপেন লাইন শাখা দফায় দফায় সভা করেছে। গোটা রেলওয়ে স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশনে পথসভায় অংশ নেবেন তাঁরা। পথসভায় সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মণ্ডল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম রাজু।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতার আগমনে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
eafef6bd-23a9-48fb-8b99-58b883798628 | সারা দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতিবন্ধী। তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ছয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এর বাইরে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আছে সরকারি কিছু কর্মসূচিও। কিন্তু এসব প্রকল্প-কর্মসূচি প্রতিবন্ধীদের দক্ষ করে তোলার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে প্রতিবন্ধীদের অপ্রতুল কর্মসূচি ও বরাদ্দ ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন কমিটির সদস্য লুত্ফা তাহের। তিনি বলেন, মাত্র ছয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র কিভাবে সারা দেশের প্রতিবন্ধীদের কর্মক্ষম করে তুলবে? আবার সেখানে রয়েছে জনবলসংকটও। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজেটে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা প্রতিবন্ধীদের জন্য কতটা কাজে আসছে তা দেখা দরকার।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী। আর বাংলাদেশের ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতিবন্ধী। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বৈষম্য, দয়া-দাক্ষিণ্য, করুণা ও অনুকম্পার ওপর ভর করে জীবন নির্বাহ করে। তবে দেশে ২০০৭ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ (সিআরপিডি) গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্র ও সমাজে এ সম্পর্কে ধারণার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। ওই সনদের আলোকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এই বিলটি ৩ অক্টোবর পাস হয়। আর প্রতিবন্ধীদের কর্মদক্ষ করে তুলতে ও পুনর্বাসনে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু সেসব প্রকল্প নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বগুড়ার শিবগঞ্জ, সাতক্ষীরার আশাশুনি, পটুয়াখালী সদর, মৌলভীবাজার সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। ওই ছয়টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের জন্য অনুমোদিত পদ ৯০টি হলেও কাজ করছেন মাত্র ৪০ জন। আরো বলা হয়েছে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র চালু আছে। আরো ৪০টি চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে আন্তরিক। কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে একটি করে প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণের বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো নামমাত্র চলছে বলে দাবি করেছেন মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক গবেষক ম. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে লোকবল নেই। আর প্রতিবন্ধীরা জানেই না তাদের জন্য কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, সেখানে যারা আছেন তাঁরা প্রতিবন্ধীবান্ধব নন। সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষায় পাস হওয়া আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রতিবন্ধীদের চেয়ে সরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্র কম হলেও বেসরকারিভাবে তাদের নানা সুবিধা দেওয়া হয়। আর ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
একাধিক বেসরকারি সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, দেশে মাত্র ৩৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৮৭ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ পাওয়ার পরও শুধু প্রতিবন্ধীবান্ধব কর্মপরিবেশ না থাকায় চাকরি ছেড়ে চলে যায়। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্ঠিতে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, স্বল্প সুদে ঋণ, ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় এবং চাকরিক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। কিন্তু প্রতিবন্ধী কোটা সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তাই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3ab1a611-e9f8-4ded-825c-47db2f131a53 | ছায়ানট মিলনায়তনে গতকাল আয়োজন করা হয় নজরুল স্মরণ সংগীতানুষ্ঠান। ছবি : কালের কণ্ঠ
বাংলা সাহিত্যের দুই প্রাণপুরুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মহান দুই স্রষ্টার সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি প্রাণিত করেছে বাঙালি জাতিকে।
গত ২২ শ্রাবণ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ১২ ভাদ্র ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে দুই কবির স্মরণে সংগীতানুষ্ঠান করেছে দুটি সংগঠন। তাঁদেরই কবিতায় ও গানে, তাঁদেরই সৃষ্টির আলোতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয় দুই কবির প্রতি।
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজন ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। ছায়ানট মিলনায়তনে ছায়ানটের উদ্যোগে হয়েছে নজরুল স্মরণ সংগীতানুষ্ঠান।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘অহংকার চূর্ণ করো/প্রেমে মন পূর্ণ করো’। দুই দিনের এই স্মরণ সংগীতানুষ্ঠান সাজানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান থেকে নির্বাচিত পূজা, প্রেম, প্রকৃতি, স্বদেশ ও বিচিত্র পর্যায়ের শতাধিক গান দিয়ে। সংস্থার ৮০ জন শিল্পীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরাও একক ও দ্বৈত পরিবেশনায় অংশ নেন।
গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সংস্থার শিল্পীদের কণ্ঠে ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে’ ও ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’—পর পর দুটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এরপর ছিল একক পরিবেশনা। একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আসিফুল বারী, অনিন্দিতা রায়, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, সেমন্তি মঞ্জরী, আজিজুর রহমান তুহিন, আবদুল ওয়াদুদ, আবদুর রশিদ, জয়ন্ত আচার্য্য, প্রমোদ দত্ত, মামুন জাহিদ খান, অনুশ্রী ভট্টাচার্য, বুলা মাহমুদ, ছায়া কর্মকার, আমিনা আহমেদ প্রমুখ।
আজ শনিবার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এদিনও একই মঞ্চে গান পরিবেশন করবেন দেশের প্রবীণ-নবীন শিল্পীরা। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।
ছায়ানট মিলনায়তনে বিদ্রোহী কবির গান ও কবিতার বর্ণিল আয়োজনে অংশ নেন ছায়ানটের শিল্পীরা। শুরুতেই বড়দের দল গেয়ে শোনায় ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির-নির্মল’। এক পরিবেশনায় ছিলেন তানভীর আহমেদ, নাসিমা শাহীন ফেন্সি, মনীষ সরকার, নুসরাত জাহান রুনা, রেজাউল করিম, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, প্রিয়ন্তু দেব, ফারহানা আক্তার শ্যার্লি, জান্নাত-ই-ফেরদৌসী লাকী, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা, শ্রাবন্তী ধর, সুমন মজুমদার। একক আবৃত্তিতে অংশ নেন কৃষ্টি হেফাজ ও রফিকুল ইসলাম। সবশেষে মঞ্চে আসে ছায়ানটের ছোটদের দল। কচিকণ্ঠে তারা গেয়ে শোনায় ‘স্নিগ্ধ শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো’ ও ‘সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়’ গান দুটি। ছায়ানটের রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
11450929-63a6-425b-b77c-71c9e194bfa8 | চারটি ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে ফিশিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ব্রামবুল ওয়ার্ম ম্যালওয়ার স্থাপন করে রিজার্ভের অর্থ হাতানোর অভিযোগ আনা হয়েছে উত্তর কোরীয় হ্যাকার পার্ক জিন হিয়কের বিরুদ্ধে। ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের স্পর্শকাতর তথ্য হাতানোর জন্য হ্যাকারদের অবলম্বন করা এক ধরনের চাতুরি হলো ফিশিং। পার্কের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত তিন কর্মকর্তা ওই ফিশিং মেইলগুলো থেকে ফাইল ডাউনলোড করার চেষ্টা করেছিলেন। এক কর্মকর্তার ই-মেইল অ্যাড্রেস বুকে হ্যাকারের পাঠানো ই-মেইল অ্যাড্রেস সেভ হওয়ায় সুবিধা হয় পার্ক হিয়কের।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এক কর্মকর্তা ডিস্ট্রিক্ট কোট অব ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট জজ রোজেলা এ অলিভারের আদালতে গত ৮ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত আগস্টে ওই অভিযোগপত্রটি প্রকাশ করা যায়। অভিযোগপত্রে উত্তর কোরিয়ার নাগরিক কম্পিউটার প্রগ্রামার পার্ক জিন হিয়কের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করার অনুমতি চাওয়া হয়। তাতে বলা হয়, এই কোরীয় একটি হ্যাকারচক্রের সদস্য যারা যুক্তরাষ্ট্রের সনি পিকচার্স ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিশ্বের অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিং চেষ্টার সঙ্গে জড়িত।
এফবিআইয়ের অনুসন্ধান মতে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার টার্মিনালে সুইফট সিস্টেম অনুকরণ করে বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। সেসব সুইফট বার্তা পেয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার অ্যাকাউন্ট থেকে আট কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তরিত হয়ে যায় ফিলিপাইনের সন্দেহজনক কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে। ওই হিসাবগুলো ২০১৫ সালের মে মাসে খোলা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয় সাইবার অপরাধীরা। যদিও তাদের ১০০ কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় যায় দুই কোটি ডলার। কিন্তু ওই অর্থ তুলে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।
তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে এফবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা শুরু হয় ২০১৪ সালের অক্টোবরে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে অন্য একটি ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে তারা নজর দেয়।
হ্যাকিংয়ের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এফবিআই চারটি প্রধান ই-মেইল অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে, যেগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেসে যোগাযোগ করা হয়। অ্যাকাউন্টগুলো হলো [email protected], [email protected], [email protected] এবং [email protected]। ওই মেইলগুলো থেকে স্পেয়ার ফিশিং মেইল পাঠানো হয়। তাতে এমন কিছু লিংক দেওয়া ছিল যেগুলোতে ম্যালওয়ার থাকতে পারে বলে এফবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে। ওই সব ম্যালওয়ার দিয়ে প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করে সুইফটের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে [email protected] অ্যাড্রেস থেকে মেইল পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৭ কর্মকর্তার ই-মেইল অ্যাড্রেসে, যেগুলোর শেষে ছিল bb.org.bd (বাংলাদেশ ব্যাংকের ডোমেইন)। ২০১৫ সালের ২৯ জুন [email protected] থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬টি ই-মেইল অ্যাড্রেসে ১০টি করে মেইল পাঠানো হয়। তাতে এক আগ্রহী ব্যক্তি চাকরির আবেদনসংবলিত একটি সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা এবং একটি কাভার লেটারের লিংক দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেও ১০টি ই-মেইল অ্যাড্রেসে দুটি করে ই-মেইল পাঠানো হয়। সংক্ষিপ্ত বায়োডাটার জন্য দেওয়া হয়েছিল ভিন্ন লিংক। [email protected] আইডিটি রাসেল আফলাম নামে খোলা হয়। সেটির রিকভারি অ্যাড্রেসে [email protected]। ওই অ্যাড্রেসটি দেওয়া হয় কোরীয় ভাষায়, যেটি ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই সময় ভারতীয় একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই ই-মেইলে একবার ঢোকার চেষ্টা করা হয়। বন্ধ হওয়ার আগে এই অ্যাড্রেস থেকে বাংলাদেশের অন্য একটি ব্যাংকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল, যা [email protected] থেকে পাঠানো মেইলেরই অনুরূপ। [email protected] মেইলটি রাসেল আফলাম নামে নিবন্ধিত। ২০১৫ সালের ১১-১২ আগস্ট বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৫টি স্পেয়ার ফিশিং ই-মেইল পাঠানো হয়। সবই প্রায় একই, তবে লিংকগুলোতে ভিন্নতা ছিল। ফরেনসিক রিভিউয়ে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তত তিনটি কম্পিউটার থেকে ওই ফাইলগুলো ডাউনলোড করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এদের মধ্য থেকে দুজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী ওই অ্যাড্রেসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন [email protected] অ্যাড্রেসটি তাঁর অ্যাড্রেসবুকে সেভ করেন। এতে প্রমাণিত হয় যে সনি পিকচার্সের কর্মীদের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের দিয়েও ফাইল ডাউনলোড করাতে সক্ষম হয়েছিল হ্যাকাররা।
এফবিআইয়ের অনুসন্ধান মতে, ২০১৫ সালের মার্চে হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে বিচরণ করতে দেখা যায়। তারা একটি ব্যাকডোর ফাইল সেভ করে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে একটি ভুয়া টিএলএস (ট্রান্সপোর্ট লেয়ার সিকিউরিটি) সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই ভুয়া টিএলএস কাজে লাগিয়ে সুইফট সার্ভারে ঢুকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার অ্যাকাউন্ট থেকে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তরের আদেশ পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে ওই চারটি অ্যাকাউন্ট জড়িত থাকলেও পার্ক জিন হিয়ক বিভিন্ন সময় ২০টির বেশি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, পার্ক একটি নির্দিষ্ট সময়ে চীনে অবস্থান করছিলেন। তাঁর ব্যবহার করা একটি উল্লেখযোগ্য ম্যালওয়ারের নাম ব্রামবুল ওয়ার্ম। পার্ক উত্তর কোরিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান চুশান এক্সপো লিমিটেডের কর্মকর্তা ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের ল্যাব১০০ নামের হ্যাকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে এফবিআই উল্লেখ করে।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপকে একটা বড় অগ্রগতি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেহেতু নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি হয়েছিল, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও সিআইডি এই সাইবার হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। তারা সব কিছুই দেখছে।
তবে সিআইডির যে কর্মকর্তা ওই ঘটনার তদন্ত করছেন, তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা তাঁরা আগেও শুনেছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে নিজেদের তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার মতো কিছু পাননি।
সিআইডির স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট মোল্লা নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা যদি কোনো বিদেশি সংস্থা পেয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব, তাদের প্রমাণগুলো আমরা দেখব। আমরা এফবিআইয়ের সঙ্গেও বসব। বসে আমরা তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি জানান, সামনের সপ্তাহেই ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে এফবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
নিজেদের তদন্ত সম্পর্ক মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় যেহেতু অনেক বিদেশি নাগরিক জড়িত, তাই তদন্তে অগ্রগতির জন্য সে সব বিদেশি নাগরিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। এসব দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তিনি জানান, ওই ঘটনায় তাঁরা এ পর্যন্ত ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, চীন ও জাপানের নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d07e5152-8cdc-4324-9256-d6df94edf095 | নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নুনেরটেক এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে দেদার বালু উত্তোলনের ফলে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৭০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মিয়া, একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রহমান, চেয়ারম্যানের ছেলে রাজিব মিয়া, আল-আমিন, ভাতিজা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফারুক, ভাগ্নে মনা, মানিক ও সাত্তার, জয়নাল, ডালিম, সোনারগাঁর নুনেরটেক গ্রামের আবুল হাসেম এবং আড়াইহাজার উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর সমন্বয়ে গড়া একটি সিন্ডিকেট এই বালু উত্তোলনের কাজে সরাসরি জড়িত। তারা মায়াদ্বীপ, নুনেরটেক, চুয়াডাঙ্গা, রগুনারচর, গুচ্ছগ্রামসহ আশপাশের গ্রামের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের কবলে পড়ে গ্রামগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ওই এলাকার শত শত কৃষকের প্রায় ৪০০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী গতকাল বসতবাড়ি ও জমি রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করে।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বালু সিন্ডিকেট উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী নুনেরটেক ও আশপাশ এলাকা থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে ২৫-৩০টি ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন সাত-আট লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে থাকে। অবৈধ বালুর টাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ার হচ্ছে। মেঘনা নদী থেকে এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রহিম আলী, রমজান মিয়া, তোতা মিয়া, লতিফ মিয়া, রশিদ মিয়া, দুদু মিয়া, সোনা মিয়া, আমির আলী, রমু মিয়া, শামসুদ্দিন, আলমাছ মিয়া, শামসুল হকসহ ২০ জনের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রগুনাথপুর, গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ ও আশপাশ এলাকার শতাধিক পরিবার এবং আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১০টি মসজিদ মেঘনার ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙন রোধ হবে না।
সরেজমিনে গতকাল নুনেরটেক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের পাশ ঘেঁষে ও ফসলি জমি থেকে ২৫-৩০টি ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। আর বালু সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে এক প্রকার প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে।
কথা হলো গুচ্ছগ্রামের কৃষক আজগর আলী ও হারুন মিয়ার সঙ্গে। তাঁরা জানান, ওই এলাকায় দুই হাজার বিঘা আবাদি জমি ছিল। বালু সন্ত্রাসীরা এরই মধ্যে এক হাজার বিঘা জমির মাটি লুট করে নিয়ে গেছে। বাকি জমি থেকেও মাটি কেটে নিচ্ছে বালু সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, তাঁরা ইজারা নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন। কৃষকদের জমির মাটি কাটার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ff8c8f4a-29cf-4ed7-9ddc-db5113b4d744 | মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের প্রথম তিন মাসে ১১৩ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ পিস ইয়াবা, সাড়ে সাত কেজি হেরোইন ও সাড়ে ১৮ হাজার বোতল ফেনসিডিল রয়েছে। এ সময় এক হাজার ৯৫৩টি মামলায় তিন হাজার ৩৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারা দেশে অভিযান চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈঠকের কার্যপত্রে গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। পরে কমিটির সদস্যরা এ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মাদকের ছোবল ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনছে। যুবসমাজকে বিপথগামী করছে। যে কারণে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মতো মাদকের বিরুদ্ধে সরকার অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক অভিযান চালানোর তাগিদ দেওয়া হয়।
কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আব্দুল মালেক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ অভিযানে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের মধ্যে ৮৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা, সাত কোটি ৬৫ হাজার ৩০ লাখ টাকার সাত কেজি ৬৫৩ গ্রাম হেরোইন, এক কোটি ৮৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ১৮ হাজার ৪৪৪ বোতল ফেনসিডিল, ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৫ টাকার এক হাজার ২৮৪ কেজি ৫৩৫ গ্রাম গাঁজা, ৬০ লাখ ১২ হাজার টাকার ১২ হাজার ২৪ বোতল বিদেশি মদ এবং ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩৮ টাকার দেশি মদ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রথম তিন মাসে দুই হাজার ছয়টি অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ৯৫৩টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। ওই সব মামলায় তিন হাজার ৩৬৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় মোবাইল কোর্ট ৯৪৮টি অভিযান পরিচালনা করে ছয় হাজার ৩০১ জনকে সাজা দিয়েছেন এবং এক হাজার ৭৮ জনকে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া ৪২ লাখ ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে অভিযান চালানোর পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেশের ৩২টি সীমান্তবর্তী জেলায় গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চার হাজার ৯১৯টি অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ২৯৭ জন মাদক অপরাধীর বিরুদ্ধে এক হাজার ১৮৩টি মামলা করেছে। ওই অভিযানে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের বছর ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৬২৩টি অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ১৮৩ জন মাদক অপরাধীর বিরুদ্ধে এক হাজার ১০৫টি মামলা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ড বাহিনী কাজ করছে। সংস্থাটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধে টেকনাফ, শাহপুরী ও সেন্ট মার্টিনসসংলগ্ন নদী ও সমুদ্র এলাকায় অত্যাধুনিক মিটাল শার্ক হাইস্পিড বোটের সাহায্যে টহল দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
313d3122-9937-4a10-a17f-67b28d3760cf | বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে। ভারত এখন বাংলাদেশে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অডিটরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও উত্তরসূরিদের মধ্যে শিক্ষা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি দুই দিনের সফরে বরিশাল এসেছেন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, পাবনা, পটুয়াখালী, জামালপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও যশোরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল এবং বন্দর, সড়ক, রেলপথ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
শ্রিংলা আরো বলেন, ‘এ ছাড়া খুলনা থেকে কলকাতা রেলপথে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর অনেকে বরিশাল এক্সপ্রেস চালুর কথা বলেছেন। সেই বিষয়টিও আমাদের চিন্তায় রয়েছে।’
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি ও চেক প্রদানের যে প্রকল্প সেটা প্রথম ২০০৬ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৬২১ জন শিক্ষার্থীকে ২১ কোটি টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনটি উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এগুলো হলো : মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য নতুন বৃত্তি প্রকল্প, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত সফরের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা।
২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির নতুন প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে স্নাতক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পুরনো এবং নতুন প্রকল্পগুলো একত্রিত করে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বৃত্তি প্রকল্পের জন্য মোট ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে বলে জানান শ্রিংলা।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্কুল ও পাঠাগার নির্মাণ করছি। বরিশালে আমরা কাজ করতে পারলে আমাদের ভালো লাগবে।’
গতকালের অনুষ্ঠানে ১২০ শিক্ষার্থীকে চেক প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতদের দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা ও হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকার চেক।
মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৯ নম্বর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগ, সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস, পঙ্কজ দেবনাথ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হক রাজু, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোশাররফ হোসেন, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আজাদ মিয়া, বরিশাল জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর প্রথমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তাঁর দুই দিনের এ সফরের সময় আটঘরের পেয়ারা বাগান, শিকারপুরের শিবমন্দির, কলসকাঠির গান্ধী আশ্রমও পরিদর্শন করে আজ রবিবার রাতে নৌপথে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
Subsets and Splits