document_id
stringlengths 36
36
| text
stringlengths 253
70.2k
|
---|---|
75bacc1e-4f49-4a63-b715-f932919bfdc0 | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১.২৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.৯২ টাকা।
এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩.৭৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১.৫৮ টাকা।
এছাড়া শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.১০ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৭.৩৬ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
c7ea94ba-9805-4512-8641-cfb9c0fecd8b | শেয়ারবাজার ডেস্ক: সারাদেশে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জে পাঁচ জন, মাগুরায় তিন জন, নোয়াখালী, গাজীপুর, নওগাঁ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি ও সুনামগঞ্জে এক জন করে মৃত্যুবরণ করেন।
সিরাজগঞ্জ : কাজিপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় বজ্রপাতে পিতা-পুত্র ও কলেজ ছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার এ সকল উপজেলায় এ ঘটনাগুলি ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুই জন আহত হয়েছে।
কাজিপুরের তেকানী চরে বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র নিহত হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানায়, কাজিপুর উপজেলার তেকানী চরে সকালে সামছুল হক ও তার ছেলে আরফান (১৪) বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে যায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের সময় বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এদিকে শাহজাদপুর উপজেলায় বৃষ্টির সময় নাবিল খান (১৭) ও পলিং (১৭) নামের দুই যুবক উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে উপজেলার বাজার অঞ্চলে বজ্রপাতে রিয়াজ হোসেন (১৮) ও সাব্বির আহত হয়েছে। আহত ও নিহতদের বাড়ি উপজেলার ছয়আনা গ্রামে।
অপর দিকে কামারখন্দের বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল কাদের (৩৭) নামের এক কৃষক নিহত হয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পুস্কুরিকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘট। নিহত কাদের হাসান উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের পুস্কুরিকুড়া গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে।
মাগুরা : পৃথক বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার অক্কুর পাড়া, রায়গ্রাম ও শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বৃষ্টিপাতের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই আশরাফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার অক্কুর পাড়ায় বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির নাম শামীম হোসেন (৪০)। তিনি পেশায় ভ্যান চালক। বজ্রপাতের সময় তিনি ভ্যান চালিয়ে মাগুরা থেকে শ্রীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কামারবাড়ি এলাকায় তিনি বজ্রপাতের শিকার হন।
তিনি আরো জানান, সদরের রায়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত অপর ব্যক্তির নাম আলম মিয়া (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার বুলুগ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র। মাগুরা শহর থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনি বজ্রপাতের শিকার হন। অন্যদিকে শালিখা উপজেলার বুনাগাতী এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে কাজ করার সময় মেহেদী হোসেন (২৫) নামে এক যুবক বজ্রপাতের শিকার হন। পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জয়পুরহাট জেলার মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার পুত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রহিমের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নোয়াখালী : সদর উপজেলায় স্কুল বন্ধ থাকায় সহপাঠীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রাঘাতে পিয়াল (১৩) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বশিরার দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি খেলার মাঠে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ : সাপাহারে বজ্রপাতে সোনাভান (২২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন। দুপুরে উপজেলার রামাশ্রম গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর : কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। তারা হলেন-শৌরভ, মনি সামান্ত, লতা, আলেয়া ও তাপসি। সকাল ৮টার দিকে মাটিকাটা এলাকায় ইনক্রেডিবল ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাফরুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার হরিনাথপুর এলাকার মো. আব্বাস আলীর ছেলে। তিনি ওই কারখানার চেকম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাঙামাটি : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মানছুরা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মানছুরা ওই এলাকার অছির আহম্মেদের স্ত্রী।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে ললিত মিয়া (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকালে বাড়ির পাশের হাওরে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান তিনি। ললিত মিয়া সৈয়দপুর গ্রামের গ্রামরে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু |
fa458ba0-1211-450c-9d9e-90690ed6ca5d | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন প্রকার ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট ফাইন্যান্স লি:। বরং আলোচিত বছরে লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি জানায়, ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ২০১৬ সালের ডিভিডেন্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে আদালত থেকে অনুমোদন পেলে ২০১৭ সালের ডিভিডেন্ড ও ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট জানানো হবে।
জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২.৬২ টাকা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৪৩ টাকা।
এছাড়া শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১০.৮৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.৬০ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ |
af109168-8ca7-41dd-b111-4b6809bb4dbe | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জুট স্পিনার্স। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩.৯০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১২.৬৮ টাকা।
এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১২.৪৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৬.১০ টাকা।
৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় হয়েছে ২০৯.২৬ টাকা।৯ মাসে শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭.৩৪ টাকা ঋণাত্মক।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
ce856d15-6631-40f1-a10e-342f4706ba6f | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জুট স্পিনার্স। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩.৯০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১২.৬৮ টাকা।
এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১২.৪৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৬.১০ টাকা।
৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় হয়েছে ২০৯.২৬ টাকা।৯ মাসে শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭.৩৪ টাকা ঋণাত্মক।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
99c69947-1c0b-4582-9683-76c8f211c27d | শেয়ারবাজার ডেস্ক: অনিবার্য কারণবশত পরিচালনা পর্ষদ সভা স্থগিত করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, সসন্ধা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ সভা স্থগিত করা হয়েছে। উক্ত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়াগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করার কথা ছিলো। তবে স্থগিতকৃত সভার নতুন তারিখ, সময় এবং ভেন্যু পরবর্তী নোটিসের মাধ্যমে জানানো হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু |
b908093d-d855-46ee-bc02-f00c80afdea6 | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.১৩ টাকা।
এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৩০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.৩৫ টাকা।
৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১০.৫৮ টাকা।৯ মাসে শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা ঋণাত্মক।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
de8ff206-a9f5-4f0b-8c13-7a783a1f3609 | শেয়ারবাজার ডেস্ক: ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, এবার শতভাগ আসন মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে।
নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাঁদের সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপির জন্য এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ এবার মোট ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না।
গতবার ৮৯ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর ছাড়া গতবার কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে সে আসনগুলো সাধারণ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হতো।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন এবং এসএমএস উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করা যাবে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। তবে ভর্তিতে আগের মতো এবারও স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে।
ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণের যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এরপর আরও একাধিক ধাপে ফল প্রকাশ ও মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৬ মে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু |
a32c9420-9dd2-4ca2-9668-e9e5d57f4148 | শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ব্যাংকি খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পন্ন হয়েছে। আজ (সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮) রাজধানীর ফারস্ হোটেল এন্ড রিসোর্টসে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণের উপস্থিতিতে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সমাপ্ত বছরের ব্যালেন্স শীট, প্রফিট এন্ড লস একাউন্ট এবং ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২২% লভ্যাংশ (১৭% নগদ ও ৫% স্টক) প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ. কে. এম. সাহিদ রেজা ও স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাজী মসিহুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে অর্জিত সাফল্যকে ব্যাংকের প্রতি শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের আস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল রেগুলেটরি সংস্থার সহযোগিতা এবং পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও তিনি সেবার মান ও পরিধি এবং মানবসম্পদের দক্ষতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুষ্ঠু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংক একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাজী মসিহুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে ব্যাংকের সামগ্রিক কার্যক্রম এবং ২০১৮ সালে ব্যাংকের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান ও এ.এস.এম. ফিরোজ আলম, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল হক, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এম. আমানউল্লাহ, পরিচালক শহিদুল আহ্সান, আলহাজ্ব আকরাম হোসেন (হুমায়ুন), মোহাম্মদ সেলিম, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন ও ডঃ মোঃ রহমত উল্লাহ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার এম. এ খান বেলাল ও মোঃ জালাল হোসেন খান মিয়া, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও মতিউল হাসান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক- জি.ডব্লিউ.এম মোর্তজা, মোঃ জাকির হোসাইন ও আদিল রায়হান, কোম্পানি সচিব সাইফুল আলম, ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
47ffdb7b-98f9-4f6d-a515-b34613093ebe | শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ পরিবর্তন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের বঙ্গজ লিমিটেড। পরিবর্তীত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বঙ্গজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ৯ মে, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু |
891d2665-69e4-4dc9-a5b7-c7ee5b87fc45 | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পাইপলাইনে রয়েছে ২৫ কোম্পানির আইপিও। এসব কোম্পানি তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আইপিও অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে। বিএসইসির অনুমতি পাওয়ার পরপরই কোম্পানিগুলো তাদের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে জন্য অপেক্ষা করছে ১৩ কোম্পানি। এই ১৩ কোম্পানি বাজার থেকে মোট ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এছাড়া ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পাইপলাইনে রয়েছে ১২ কোম্পানির আইপিও। এই ১২ কোম্পানি বাজার থেকে ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা উত্তোলন করবে।
এ ব্যাপারে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, প্রতিটি কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেসব কোম্পানি বিএসইসির কমপ্লায়েন্স শতভাগ পূরণ করতে পারছে সেগুলোকেই ধারাবাহিকভাবে আইপিও’র জন্য অনুমোদন দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতি
অনেক আগেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসার অপেক্ষায় রয়েছে এসটিএস হোল্ডিংস (অ্যাপোলো হাসপাতাল) লিমিটেড। কোম্পানিটি বাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা টাকা উত্তোলন করবে। একই পদ্ধতিতে রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ৭০ কোটি টাকা, ডেল্টা হসপিটাল ৫০ কোটি টাকা, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্টিজ ৪০ কোটি টাকা, শামসুল আলামিন রিয়েল স্টেট ৮০ কোটি টাকা টাকা, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট ১৫০ কোটি টাকা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৫০ কোটি টাকা, এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড ২২৫ কোটি টাকা, স্টার সিরামিকস ৬০ কোটি টাকা এবং মর্ডান ষ্টীল মিলস পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য রোড শো সম্পন্ন করেছে। উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর এস্কয়ার নিট কম্পোজিট বিডিংয়ের অনুমোদন পেয়েছে।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি
এদিকে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে বা ফেসভ্যালু ১০ টাকায় বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ১২ কোম্পানি অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে কাট্টালি টেক্সটাইল ৩৪ কোটি টাকা, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং ২২ কোটি টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস ৩০ কোটি টাকা, এমএল ডাইং ২০ কোটি টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ২০ কোটি টাকা, নিউ লাইন ক্লোথিং ৩০ কোটি টাকা, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস ৩০ কোটি টাকা, ইলেক্ট্রো ব্যাটারি কোম্পানি সাড়ে ২২ কোটি টাকা, এসএস স্টিল ২৫ কোটি টাকা, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স পয় মেন্যুফ্যাকচারিং ২৫ কোটি টাকা এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে। উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভিএফএস থ্রেড ডায়িং আইপিও অনুমোদন পেয়েছে কিন্তু কনসেন্ট লেটার না পায়নি।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা |
468f0603-c5d1-4a3b-9b83-0c5e7f8f8bc7 | শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ পরিবর্তন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং সিইপিজেড লিমিটেড। পরিবর্তীত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মিথুন নিটিংয়ের বোর্ড সভা ৯ মে, বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু |
6948bd30-888f-4afc-9e75-7fba936211f0 | শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৫৬ টাকা।
এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৬৩ টাকা ঋণাত্নকক। ৩১ মার্চ ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭.৪১ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর |
cdf4abac-140e-4ea1-a5db-f1209566a6c1 | লেখাটি শুরু করতে চাই আমাদের পাশের দেশ ভারতের দুটি উদাহরণ উদ্ধৃত করে। আমাদের জানা আছে, এ পি জে আবদুল কালাম ছিলেন ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি (২০০২-০৭)। মূলত তিনি ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন চিরকুমার। মৃত্যুর পর যে সম্পদ তিনি রেখে যান তা হলো—কতগুলো বই, ব্যবহৃত কাপড়চোপড়, তাঁর প্রিয় বাদ্যযন্ত্র বীণা, একটি ল্যাপটপ ও একটি সিডি প্লেয়ার। তাঁর কোনো টেলিভিশনও ছিল না।
এইতো সেদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। দীর্ঘ ২০ বছর (১৯৯৮-২০১৮) ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে বেতন পেতেন সবই দান করে দিতেন তাঁর দল ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া’র তহবিলে। তবে বিনিময়ে পার্টি থেকে তাঁকে ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হতো। এ বছরের নির্বাচনে পরাজিত হলে তিনি সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেন এবং বর্তমানে দলের অতিথিশালায় থাকছেন। কারণ তাঁর নিজস্ব কোনো বাড়িঘর নেই। এমনকি তাঁর কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোবাইল ফোনও নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আসার সময় তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে মাত্র দুই হাজার ৪১০ টাকা পাওয়া যায়। তাঁকে কখনো আয়কর হিসাব জমা দিতে হয়নি।
আসলে এই উদাহরণ দুটি উদ্ধৃত করার পেছনে আমার এমন কোনো আশা বা উদ্দেশ্য নেই যে আমাদের জনপ্রতিনিধিরাও তাঁদের মতো হবেন। আমি কেমন করে ভাবব যে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের মতোই এতটা কৃপণ ও নিজেদের প্রতি উদাসীন হবেন? বালাই ষাট! স্বপ্নেও যে এমনটা ভাবা যায় না। এমনটা ভাবলে অন্যরা সন্দেহ করতে পারেন যে এ দেশের মাটিতে আমার জন্ম কি না। যা হোক, যাঁরা বাংলাদেশের বাস্তবতাকে বোঝেন এবং ভবিষ্যতে অভাবনীয় কিছু ঘটে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন, তাঁদের সঙ্গে আমার অনুভূতিকে ভাগ করা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।
বলতে গেলে, গণপ্রতিনিধিত্ব আমাদের গণতন্ত্রে এক ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ সম্পর্ক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের তত্ত্ব ও অনুশীলন কখনো ঘনিষ্ঠভাবে বিন্যাসিত না থাকার কারণে এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তত্ত্বগতভাবে, নাগরিকদের তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিশ্বাস করা উচিত এবং এই প্রতিনিধিদের শুধু নাগরিকদের স্বার্থেই নিজেদের নিয়োজিত রাখা উচিত। কিন্তু বাস্তবে এ রকম চিত্র খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে তৃতীয় বিশ্বে গণতন্ত্রের দৃশ্যটি সম্পূর্ণ ভিন্নতর। তাই আমরা চিন্তাও করতে পারি না যে আমাদের প্রতিনিধিরা তাঁদের নিজস্ব কল্যাণের পরিবর্তে জনগণের পাশাপাশি দেশের স্বার্থে নিজেদের উৎসর্গ করবেন।
জনপ্রতিনিধিরাও অন্যান্যের মতো এই সমাজের সদস্য। কিন্তু তাঁরা এমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন, যাঁদের মধ্যে সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি বিদ্যমান। প্রকৃতপক্ষে জনগণ ও দেশকে সেবা করার জন্যই জনগণ তাঁদের নির্বাচিত করে থাকে। ভোটাররা ভোটদানের মাধ্যমে তাঁদেরই প্রতিনিধি নির্বাচন করে যাঁরা তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন বলে জনগণ বিশ্বাস করে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে খুব কম মানুষই এ রকমটি দেখতে পায়, যেখানে প্রতিনিধিরা জনগণের স্বার্থ পূরণে নিষ্ঠাবান হন। এ দেশে নির্বাচনে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই নির্বাচিত হয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুনাফাসহ বিনিয়োগ করা অর্থ সংগ্রহ করতেই জনপ্রতিনিধিরা সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ রাজনীতিকে অনেকটা ব্যবসায় পরিণত করা হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই জনগণ ওই উদ্দেশ্যটা অনুধাবন করতে শুরু করে।
সাধারণত দেখা যায় যে ভোটাররা যেমন রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করে না, তেমনি রাজনীতিবিদরাও তাঁদের নিজস্ব দল ও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। স্বভাবতই এ পর্যায়ে খোদ গণতন্ত্রের অস্তিত্ব সম্পর্কেই প্রশ্ন ওঠে—রাজনীতিবিদ ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান এ ব্যবধান কি সংশোধিত করার কোনো উপায় নেই? এটি কি তবে একটি প্রয়োজনীয় দুষ্ট ক্ষত হিসেবেই রয়ে যাবে? তা-ই যদি হয়, তাহলে গণতন্ত্রের ঘণ্টা বেঁধে আমরা এত আওয়াজ করছি কেন? এতে তো দুই পক্ষেরই ক্ষতি। সর্বোপরি, দেশের ক্ষতি।
জনপ্রতিনিধিত্বের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি জনপ্রিয় অসন্তুষ্টির অন্যতম হচ্ছে—জনগণের মধ্যে দেশের গণতন্ত্রের প্রতি যত্নশীল না হওয়ার প্রবণতা এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের গুণগত মান নিয়ে জনগণের উদ্বিগ্নতা। রাজনীতিবিদদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, তাঁদের আচরণকে জনগণ সর্বদাই যাচাই করে যাচ্ছে। আর যাচাইয়ের ব্যাপারে ভোটারদের সন্দিহানই মূলত কাজ করে থাকে। রাজনৈতিক বিশ্বাস শর্ত সাপেক্ষে যেমন সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে, তেমনি সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে সেই বিশ্বাস আর থাকে না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সত্য যে বাংলাদেশে এ দুটির কোনোটিই ঘটে না, বরং উল্টোটিই ঘটতে দেখা যায়।
সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে, রাজনীতিবিদ ও জনগণের মধ্যে অন্তত কিছুটা হলেও পরীক্ষিত বিশ্বাস থাকতে হবে, যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য অপরিহার্য। নিজস্ব বিচক্ষণতা অনুসারে রাজনীতি করার জন্য রাজনীতিবিদদের কিছুটা স্বাধীনতা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিচক্ষণতা বিশ্বাসেরই একটি সীমিত সহায়ক। তবে বিশ্বাসের সীমা অতিক্রান্ত হলে স্বচ্ছতার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেটি মুহূর্তেই ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
সীমিত বিশ্বাস সাধারণ মানুষের মতো একজন জনপ্রতিনিধির ব্যর্থতাকে ভোটারদের কাছে কিছুটা সহনশীল করে তোলে। জনগণ রাজনীতিবিদদের কাছে সরকারি অর্থের হিসাব চাওয়ার অধিকার রাখে। একজন রাজনীতিবিদের সফলতার জন্য গ্রহণযোগ্য বিচক্ষণতার চূড়ান্ত অনুশীলনের প্রয়োজন এবং যদি ভোটাররা কার্যকর রাজনীতিবিদ প্রত্যাশা করে, তবে তাদের আপস, সমঝোতা বা আমলাতান্ত্রিক জট খুলে ফেলার উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, গণতন্ত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা সব সময় কাম্য নয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সভায় এবং গণমাধ্যমের সামনে রাজনীতির কূটকৌশল নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত সীমিত থাকা বাঞ্ছনীয়। একবার রাজনীতিবিদরা জনসাধারণের অবেক্ষণের মধ্যে পড়ে গেলে তাঁদের পক্ষে গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক স্বার্থগুলো আদায় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাঁদের এমন পরিবেশ দরকার, যেখানে তাঁরা কৌশল প্রয়োগ, সম্মতি এবং আপস করার কাজগুলো করার অবকাশ পান। স্বচ্ছতা রাজনীতিবিদদের বাক্সবন্দি করে রাখার জন্য নয়। স্বচ্ছতা তাঁদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে শক্তি ও সাহস জোগাবে। ভবিষ্যতের চলার পথকে কণ্টকহীন করে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
রাজনীতি করা যেকোনো মুহূর্তেই নৈতিকতার বিচারে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে দুর্নীতি হচ্ছে একটি সর্বদা বিদ্যমান প্রলোভন। ভোটারদের কালেভদ্রে এবং নিয়মিত ঘটে যাওয়া অপকর্মের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। কালেভদ্রে দুর্নীতি করা হলেও তার শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ এটিও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যা-ই হোক, নিয়মিত করা অপকর্ম গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যে জনপ্রতিনিধিকে কেনা বা বিক্রি করা যায়, তাঁকে জনগণ কেন ভোট দেবে?
গণতন্ত্রে সরকারি অর্থ ব্যবহারে কিছু মৌলিক সততা প্রয়োজন, সত্যের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো প্রয়োজন। যদি রাজনীতিবিদরা শুধু সত্যবাদী হওয়ার ভান করেন, তাহলে ভোটাররাও শুধু শোনার ভান করবে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বাস হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক বিতর্কের সত্যতা একটি আপেক্ষিক বিষয় হতে পারে এবং গণতন্ত্রের অলংকার হিসেবে বিষয়টিতে সব সময়ই ভণিতা ও অগ্রাধিকার দেখা যায়। একটি মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিশ্রুতি ও কর্ম, পরিকল্পনা ও বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান ফাঁকফোকর জনসমক্ষে তুলে ধরে। একটি মুক্ত গণমাধ্যম সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন তর্কবিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সর্বজনীন সত্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
একজন জনপ্রতিনিধি একটি প্রাতিষ্ঠানিক নৈতিকতার মধ্যে কাজ করেন, যা একটি অগ্রাধিকারক্রম অনুসরণে পথ চলে। এ ক্ষেত্রে দল প্রথম, সংবিধান দ্বিতীয় এবং বিবেক তৃতীয় স্থানে। তিনি আর তাঁর নিজের জন্য কথা বলেন না, যারা তাঁকে ভোট দিয়েছে তাদের জন্য কথা বলেন। ভোটারদের কাছ থেকে তাঁর কর্তৃত্ব এসেছে—তাঁর আগে অর্জিত অবস্থান বা সম্মান থেকে নয়। স্বভাবতই এটা স্বীকার করতে হবে আপনি জনগণের সেবা করবেন এবং আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো তাদের মতামতকেই প্রকাশ করবে। ম্যাক্স ওয়েবারের মহান প্রবন্ধ ‘রাজনীতি একটি অবকাশ’ মতে, একজন রাজনীতিবিদ অবশ্যই নিজেকে একটি নীতিমালা দ্বারা চূড়ান্ত সমাপ্তির দিকে পরিচালিত করতে পারেন না। যদি তাঁরা ক্ষমতা অর্জন করতে চান, তবে তাঁদের দায়িত্বের একটি নীতিমালা মেনে চলতে হবে—দল ও জনগণের সেবা করেই নয়, বরং ব্যক্তিগত বিবেক ও নৈতিক মতাদর্শকে অগ্রাধিকার প্রদান করে।
নির্বাচনের সময় রাজনীতিবিদদের কাছে ভোটাররা সবচেয়ে মূল্যবান ব্যক্তি। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুকরা এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নিজ নিজ এলাকায় যাতায়াত করা শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের রাজনীতিবিদরা এ পি জে আবদুল কালাম বা মানিক সরকার যেভাবে দেশ ও মানুষের সেবা করে গেছেন তেমন হবেন, তা আশা করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। তবে তাঁদের মতো করে কিছুটা পথ এগোলেই আমরা তাঁদের নিয়ে গর্ব বোধ করব। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাঁরাই হতে পারেন দেশ ও মানুষের সেবা করার সব কর্মের অনুপ্রেরণার উৎস, মানসিক শক্তি এবং অদম্য সাহসের জোগানদাতা।
লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
cf98790f-3d0b-4725-9101-115dcf415a39 | ১০৫. আমি সত্যসহ কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং তা সত্যসহ অবতীর্ণ হয়েছে। আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে।
১০৬. আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি খণ্ড খণ্ডভাবে, যাতে তুমি তা মানুষের সামনে ধাপে ধাপে পাঠ করতে পারো। আর আমি তা পর্যায়ক্রমে অবতীর্ণ করেছি। (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৫-১০৬)
তাফসির : আগের কয়েকটি আয়াতে মুসা (আ.) ও ফেরাউনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছিল। এগুলো বর্ণনা করা হয়েছে কোরআন ও মহানবী (সা.)-এর সত্যায়ন করার জন্য। আলোচ্য দুই আয়াতে কোরআন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনুরূপ এটি জিবরাইল (আ.) যথাযথভাবে নিয়ে এসেছেন। মহানবী (সা.)ও তা কোনো ধরনের বিকৃতি ছাড়াই প্রচার করেছেন। তাই এ কোরআনের ব্যাপারে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। আর কোরআন ধাপে ধাপে অবতীর্ণ করা হয়েছে, যাতে কোরআনের পাঠক তা সহজে বুঝতে পারে।
কোরআনের তথ্যকণিকা
৬১০ খ্রিস্টাব্দ ও রমজান মাসের কদরের রজনীতে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয়।
অবতীর্ণের মোট সময়কাল ২২ বছর পাঁচ মাস ১৪ দিন। প্রথম নাজিলকৃত পূর্ণ সুরা হলো সুরা ফাতিহা।
সর্বপ্রথম নাজিলকৃত কোরআনের আয়াত হলো সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত। কোরআনের প্রথম শব্দ হলো ‘ইকরা’—তুমি পড়ো। কোরআনের সর্বশেষ নাজিলকৃত সুরা হলো সুরা আন-নসর এবং সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত হলো সুরা বাকারার ২৮১ নম্বর আয়াত। কোরআন অবতীর্ণ হওয়া সমাপ্ত হয় হিজরি ১১ সালের সফর মাসে। কোরআনের সর্ববৃহৎ সুরা হলো সুরা বাকারা। এর আয়াতসংখ্যা ২৮৬। কোরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা হলো সুরা কাওসার। এর আয়াতসংখ্যা ৩।
পবিত্র কোরআনের মোট সুরা ১১৪টি। এর মধ্যে মাক্কি সুরা (হিজরতের আগে বর্ণিত) ৯২টি, মাদানি সুরা (হিজরতের পরে বর্ণিত) ২২টি। কোরআনে মোট ৫৪০টি রুকু আছে। প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী কোরআনের মোট আয়াত ছয় হাজার ৬৬৬টি। কিন্তু দায়িত্বশীল গবেষকদের দৃষ্টিতে কোরআনের মোট আয়াত ছয় হাজার ২৩৬টি। কোরআনের মোট শব্দ ৮৬ হাজার ৪৩০টি। কোরআনের মোট অক্ষর তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৩টি, মতান্তরে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০টি, মতান্তরে তিন লাখ ৫১ হাজার ২৫২টি। মোট পারা ৩০টি।
কোরআনের হরকতের মধ্যে জের ৩৯ হাজার ৫৮২, জবর ৫২ হাজার ২৩৪, পেশ আট হাজার ৮০৪, জজম এক হাজার ৭৭১, নুকতা এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৮১, তাশদিদ এক হাজার ৪৫৩, ওয়াক্ফ ১০ হাজার ৫৬৪, মাদ এক হাজার ১৭১ ও আলিফ মামদুদাহ ২৪০টি।
সর্বপ্রথম কোরআনে নুকতা ও হরকত প্রবর্তন করেন আবুল আসওয়াদ দুয়াইলি, মতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হানাফি মাজহাব মতে, কোরআনে সিজদার আয়াত ১৪টি এবং সাকতার সংখ্যা চার।
কোরআনে ২৫ জন নবী-রাসুলের নাম এসেছে। কোরআনে চারজন ফেরেশতার নাম এসেছে। কোরআনে শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৫ বার, ইবলিস এসেছে ১১ বার। জিন জাতির প্রসঙ্গ এসেছে ৩২ বার।
নবীদের মধ্যে পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি এসেছে মুসা (আ.)-এর নাম। তাঁর নাম এসেছে ১৩৫ বার।
কোরআনে মহানবী (সা.)-এর নাম এসেছে চারবার। কোরআনে ছয়জন কাফিরের নাম আছে। কোরআনে ‘বিসমিল্লাহ’ নেই সুরা তাওবায়। কোরআনে ‘বিসমিল্লাহ’ দুইবার এসেছে সুরা নামলে। কোরআনে মাত্র একজন সাহাবির নাম এসেছে। তাঁর নাম জায়েদ (রা.)।
গ্রন্থনা : মাওলানা কাসেম শরীফ
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
1babc119-db5d-452c-9d0c-cc2b7bb676cc | বাংলাদেশে যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ও নামসর্বস্ব দল নিয়ে হঠাৎ করে একেকটি জোটের আবির্ভাব ঘটে। পাঁচ বছর এসব নেতাসর্বস্ব দলের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না, নেতারাও খুব একটা জনসমক্ষে আসেন না, দেশের রাজনীতি নিয়ে দৃষ্টিকাড়া কোনো বক্তব্য দেন না। কেউ কেউ অবশ্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত কোনো ছোট আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন, মিডিয়ার কল্যাণে জানান দেন যে তিনি আছেন। কেউ কেউ দু-চারটা কথা মাঝেমধ্যে বলেন, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন। তবে বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অগ্রসর করে নেওয়ার মতো মতামত খুব কম নেতার কাছ থেকেই শুনতে পাওয়া যায়।
আসলে কয়েক দশক আগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন থেকে বর্তমান বাস্তবতার যে বিশাল গুণগত পরিবর্তন ঘটে গেছে, সেটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও কর্মসূচির বিস্তার না ঘটাতে পারার কারণে বেশির ভাগ নেতা এবং দল একেবারেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়েছে, তাদের পেছনে নেতা ও কর্মীও খুব একটা নেই, জনগণ তো নেই-ই। এককালের প্রভাবশালী নেতা এখন কতটা অসহায় অবস্থায় ঘরবাড়ি ও অফিসে সময় কাটান, তা তাঁদের ধারেকাছে ভিড়লেই দেখা যাবে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশে রাজনীতি নামে ও প্রচারে যতটা আছে বাস্তবে নেতাদের মেধা-মননে ও চিন্তা-চেতনায় নেই, কিছু থাকলেও সেটিকে ক্রমাগতভাবে অগ্রসর করার কোনো ধারায় নিজেরা যুক্ত থাকেন না। ফলে বেশির ভাগ নেতাই যুগোপযোগী মেধা ও রাজনৈতিক দর্শন চিন্তার জন্য উপযুক্ততা হারিয়ে ফেলেছেন। এর পরও তাঁরা আছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন, মৃত্যুই তাঁদের নাম এবং দলের নাম সমাধিস্থ করতে পারে। নেতাসর্বস্ব দল ও রাজনীতির করুণ পরিণতি এ দেশে অসংখ্য থাকার পরও কেউই রাজনীতির ইতিহাস পাঠ করে দেখেন না। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর আগেই ন্যাপ ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে, তাঁর মৃত্যুর পর ন্যাপ নতুন প্রজন্মের কাছে মোটেও পরিচিত নয়। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এখনো জীবিত আছেন; কিন্তু তাঁর দলের নামও এখন আর উচ্চারিত হয় না। ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম নামে আছে—যেহেতু সভাপতি আছেন, বি চৌধুরীরও অবস্থা অনেকটা তাই। অন্যদের অবস্থা মনে হয় নতুন করে বলার দরকার নেই।
যাঁরা একসময় নিজ নিজ দল স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে ছেড়েছিলেন, নতুন দল গঠন করে দেশ ও জাতিকে নতুন রাজনীতি, গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তাঁদের তো শক্তিশালী দল নিয়ে দেশে নতুন ধারার রাজনীতি উপহার দেওয়ার কথা ছিল। গণফোরামকে আওয়ামী লীগ বাধা দেয়নি। দেশের বাম ও মধ্যপন্থার অনেকেই তাঁর দলে একসময় যোগ দিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা হওয়ার কোনো সুযোগ ঘটার আগেই দলটি নেতাসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছিল। বি চৌধুরী বিএনপির মূলধারার রাজনীতির বাইরে একটু উদারবাদী ধারায় চলার চেষ্টা করতে গিয়ে বঙ্গভবনের প্রধান পদই শুধু হারাননি, জীবনের নিরাপত্তা নিতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের কাছে যেতে হয়েছিল, তাঁর ছেলে মাহীকে সব হারাতে হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ১২-১৩ বছর ধরে কোনো বিকল্প ধারার রাজনীতি গড়ার চেষ্টাই করেননি। আ স ম আবদুর রবের স্বর্ণযুগ ১৯৭৫ সালের আগেই গত হয়ে গেছে, আশির দশকে বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার বিষয়টি ছিল রাজনীতির পরিহাস চক্রের ফসল—যার কোনো জনভিত্তি থাকতে পারে না। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর একাত্তরের অসম সাহসী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা অনেকটাই হিমালয়ের মতো উঁচু; কিন্তু দলীয় রাজনীতিতে তিনি স্বতন্ত্র নজির সৃষ্টির কোনো অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি। মাহমুদুর রহমান মান্নার রাজনৈতিক দীক্ষা কোনোকালেই হঠকারিতার চৌহদ্দি অতিক্রম করার উদাহরণ দেয়নি।
বাম নেতারা একসময় রাজনীতিতে তাঁদের দলকে বিকশিত করতে সক্রিয় ছিলেন, নব্বইয়ের দশকে গিয়ে তাতে ভাটা পড়তে থাকে। এখন তাঁদের নাম অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই না পারার দায় কার? নিশ্চয়ই নিজেদের। অথচ তাঁদের কথা শুনে মনে হয় তাঁরা ভীষণ সফল, ভীষণ আশাবাদী; কিন্তু ডুবন্ত নৌকা তুলে ধরার ক্ষমতাও তাঁদের কারো নেই। দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিশ্বাস ও জাতিগত সাংস্কৃতিক দুর্বলতা এবং আন্তর্জাতিক বাস্তবতাকে বুঝে নিয়ে দেশে গণতন্ত্রের সমস্যা কোথায়, কিভাবে, কাদের সঙ্গে একত্রে, কাদের বিরুদ্ধে কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর মতো রাজনৈতিক অপশক্তিগুলোর চরিত্র উন্মোচন করে দেশে গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শের রাজনীতিসচেতন জনগোষ্ঠী গঠনের কর্ম মহাপরিকল্পনা এখনকার ৯৫ শতাংশের বেশি নেতার মধ্যে নেই। ১৯৭৫ সালের পর থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে রাজনীতির বাতাসে ছড়িয়ে যারা গোটা সমাজমানসকে গণতন্ত্রবিরোধী করে ফেলেছে—তাদের তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপটিই এ দেশে খুব একটা উন্মোচিত নয়, প্রগতিশীল দাবিদাররা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গোটা দেশটিকেই ভয়াবহ রাজনৈতিক যথেচ্ছাচারে নিক্ষেপ করে দিয়েছে। এর দায় তাদের, এর সুবিধা নিয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী শক্তি, তাদের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী, মানহীন শিক্ষাব্যবস্থা, গণমাধ্যমের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা গোষ্ঠী, সুবিধাবাদী প্রশাসন যন্ত্রসহ রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই দ্বিধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এর একদিকে দুর্বল অসাম্প্রদায়িকতা, বিপরীত অবস্থানে রয়েছে শক্তিশালী সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠী।
বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের আগে সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের অবস্থান মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হতো—খুঁজে পেতে কষ্ট হতো, সেই বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে সাম্প্রদায়িকতার উন্মাদনা বাড়তে বাড়তে এখন কত শতাংশে পৌঁছেছে, তা নির্ণয় করলে পিলে চমকানোর অবস্থা তৈরি হবে হয়তো। অথচ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ও বিকাশের পরিণতি আমাদের রাজনীতিতে অবস্থানকারী ছোট-বড় অনেক দল এবং নেতাই রাখেন না। মস্ত বড় এই প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পথের কথা বলেন না, তেমন রাজনীতির দায় অপরিহার্য হয়ে আছে অনেক আগেই—সে কথাও কানে নেন বলে মনে হয় না। অথচ তাঁদের দেখি গণতন্ত্রের জন্য বুক ভাসিয়ে কাঁদতে, গেল গেল সব গেল, গণতন্ত্র গেল, স্বৈরতন্ত্র এসে গেল! এমন কান্না প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারও কেঁদেছিলেন, ইতালিতে মুসোলিনিও কেঁদেছিলেন। জনগণ আবেগ আপ্লুত হয়ে দুজনকেই নেতা বানিয়েছিল ভোট দিয়ে। শেষ পর্যন্ত জার্মানি ও ইতালি শুধু নিজ দেশ নয়, বিশ্ব ইতিহাসকে কী দিয়েছিল—তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনীতির আবেগ আর বাস্তবতা বোধের যদি ব্যাখ্যা জানা না থাকে, তাহলে ইতিহাসের করুণ পরিণতির জন্য সবাইকে শুধু অপেক্ষা করতে হবে, অপশক্তির হাতে চলে যাওয়া ক্ষমতার পরিণতি ভোগ করা থেকে নিস্তার নেই। পাকিস্তান হাজার চেষ্টা করেও কি সাম্প্রদায়িক-সামরিক শক্তির কবল থেকে মুক্ত হতে পারবে? আমরাও একসময় তেমন চক্রেই পড়ে গিয়েছিলাম। কতটা নিরাপদ হতে পেরেছি তা বলা বেশ কঠিন। আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতা ও সুবিধাবাদ, দুর্নীতি ও প্রতিক্রিয়াশীলতার ভাবাদর্শ এমনভাবে অনুপ্রবেশ করেছে যে তারা ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, প্রচারমাধ্যম এবং প্রতিষ্ঠানের নানা অবস্থানের ভেতরে লুকিয়ে আছে, পোশাক পরিবর্তন করে ‘দেশপ্রেমিক’, ‘গণতন্ত্রপ্রেমিক’ ইত্যাদি সাজার চেষ্টা করছে, নিকট-অতীতে এরা সরকার উত্খাতে ইন্ধন কম দেয়নি, সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। অথচ গণতন্ত্র সম্পর্কে এদের কারোরই কোনো আস্থা নেই। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুযোগ তাদের হাতে গেলে তখনই সুধীসমাজের দাবিদাররা তাদের আসল স্বরূপটি দেখতে পাবে। তখন কারোরই কিছু করার থাকবে না, যেভাবে অনেক দেশেই জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে চলে যাওয়া রাষ্ট্রে অন্যদের স্পেস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে, মানুষের জীবনই বিপন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা নিয়ে কোনো কোনো দল হঠাৎ করেই জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। অথচ ড. কামাল হোসেন কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলতে পারেননি তাঁরা ক্ষমতায় গেলে কী করবেন? তাঁদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যই তিনি স্পষ্ট করতে পারেননি। অথচ তাঁর সঙ্গে ঐক্যপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন এমন কোনো কোনো নেতা বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনের ধারণাকে উড়িয়ে দেননি। বোঝা যাচ্ছে, জোটের মধ্যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা নিয়ে কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই, কর্মপরিকল্পনাও নেই। তবে বর্তমান সরকারকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে দেশ শাসন করতে তাঁদের কোনো প্রশ্ন নেই, দ্বিধা নেই, অথচ ড. কামাল হোসেন বলেছেন যে তাঁর নেতৃত্বাধীন ঐক্যপ্রক্রিয়া হবে ১৯৭২ সালের সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। তাহলে এখন কার কথা জোটের মূলকথা, সেই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে যুগপৎ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা আশির দশকে হয়েছে, এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু তাতে কী গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে? সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবাধীন নির্বাচন কোনোকালেই গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত নয়, সংকুচিত করে—এটিই ইতিহাসের শিক্ষা। কালো টাকা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা—কোনোটাই নির্বাচনে গণতন্ত্রের জন্য ন্যূনতম সহায়ক হয় না, সরব গণতন্ত্রের দরজা শক্ত করেই বন্ধ করে দেয়। যুগপৎ আন্দোলনের তত্ত্ব আশির দশকে চমক সৃষ্টি করেছিল, আবেগ মথিত রাজনীতির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল; কিন্তু স্বৈরাচারকে পরাজিত করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বৈধতা দেওয়া হলো।
রাষ্ট্রক্ষমতায় সাম্প্রদায়িক শক্তির বৈধ উত্থান স্বৈরতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর। এটি রাষ্ট্রে রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সব প্রতিষ্ঠানে হাঁটু গেড়ে বসে যাওয়ার সুযোগ পায়। সাম্প্রদায়িকতার ছদ্মাবরণের শক্তিকে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদ করা মোটেও সম্ভব নয়, বরং ক্ষমতার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে তারা আরো পুষ্ট হতে পারে। বাংলাদেশে নব্বই-উত্তর সময়ে সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান সংহত হয়েছে, এর ভাবাদর্শে তরুণদের একটি বড় অংশকে আকৃষ্ট করতে পারছে—যারা গণতন্ত্র এবং ধর্মকে শেষ বিচারে প্রতিপক্ষই ভাবে, যদিও নির্বাচনী সুযোগ নিতে ‘গণতন্ত্র’ তাদের কাছে মস্ত বড় আওড়ানো বুলি। কিন্তু গণতন্ত্র তাদের কাছে পশ্চিমা মতবাদ, কুফরি মতবাদ ইত্যাদি হিসেবেই বিবেচিত এমন রাজনৈতিক অপশক্তির সঙ্গে যখন যুগপৎ আন্দোলন, জোট গঠন, নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির কূটকৌশল নিহিত থাকে তখন দেশ শেষ বিচারে আরো অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী, সুবিধাবাদী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির হাতেই চলে যায়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের পর থেকে নানা পর্বে সাম্প্রদায়িকতার কাছেই হার মেনেছে, সেই শক্তিকেই স্পেস বেশি দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের গণতন্ত্রের ধারা সংকুচিত করেছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো নেতৃত্বকে ১৯৭৫ সালে একবার দলসুদ্ধ হত্যা করেছে, ২০০১-২০০৬ সালে অবশিষ্টাংশ হত্যার মহাযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছিল, ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে নিশ্চিহ্ন করার কাজ সমাপ্ত করতে মোটেও কৃপা করবে না, যেভাবে ১৯৭৫ সালে কাউকে ছাড়েনি, ২০০১-২০০৬ সালে নেতাকর্মীদের রক্তে রঞ্জিত করতে ছাড়েনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। সেটি সম্ভব হলে এখনকার গণতন্ত্রপ্রেমীদের বশীভূত করতে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রশক্তির কোনো চিন্তাই করতে হবে না। নির্বাচনের আগে নতুন ঐক্য জোট গঠন, যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনী কৌশলী গোপন জোট গঠনের অন্তরালে নতুন মোড়কে পুরনো শক্তির ষড়যন্ত্রই যেন আবার একত্র হচ্ছে। তেমন আভাস-ইঙ্গিত তাঁরাই দিচ্ছেন, আমরা বানিয়ে কিছুই বলছি না।
লেখক : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ef5f3408-6a72-423a-80fa-b7ef0925f4d3 | বিতর্ক আর রাজনীতি যেন দুই হরিহর আত্মা! যেখানেই রাজনীতি, সেখানেই বিতর্ক। বিতর্কের আগুনে হরহামেশাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতির মাঠ। দেশীয় রাজনীতির সাম্প্রতিক বিতর্কের নাম ‘কারাগারে খালেদার বিচার’। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে আদালত বসানো নিয়ে চলছে তুমুল বাহাস। প্রকাশ্য বিচারের যুক্তিতে বিএনপি বলছে, কারাগারে আদালত স্থাপন সংবিধানের লঙ্ঘন। বলছে, ‘এ বিচার ক্যামেরা ট্রায়াল’। বিপরীতে সরকার বলছে, ‘সংবিধান মেনেই পুরনো কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন’ করা হয়েছে। কার কথা সত্য? চলুন আইনের চোখে বিষয়টির অলিগলি চেনা যাক। খোলা যাক তর্কের জট!
এটা ঠিক, ‘প্রকাশ্য বিচার লাভ’ প্রত্যেক নাগরিকের অবিচ্ছেদ্য মৌলিক অধিকার। এ নিয়ে সংবিধানের ৩৫(৩) অনুচ্ছেদের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা : ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচারলাভের অধিকারী হবেন। লক্ষ করুন, ‘প্রকাশ্য বিচারে’র জন্য এখানে—১. আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ২. স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতের কথা বলা হচ্ছে। আর ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে ওই আইনের উৎসমুখ ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি। ওই বিধির ৯(২) ধারায় বলা হচ্ছে, সরকার সরকারি গেজেটে সাধারণ অথবা বিশেষ আদেশ জারি করে কোন জায়গায় দায়রা আদালত বসবে, তা নির্ধারণ করতে পারে। অর্থাৎ দায়রা আদালতের স্থান নির্ধারণের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারে। তা ছাড়া কখন, কী কারণে কিংবা কোন পরিস্থিতিতে সরকার এ ধরনের সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারি করবে; আইনে তারও কোনো সুনির্দিষ্টতা বা স্পষ্টতা নেই। তার অর্থ দাঁড়ায়, সরকার চাইলে যেকোনো মামলায়, যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে, যেকোনো স্থানে দায়রা আদালত বসাতে পারে। অর্থাৎ এটা সরকারের একান্ত নিজস্ব বিবেচনা ও ক্ষমতাধীন একটি বিষয়। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মামলাটি দায়রা আদালতের ক্ষমতা ও মর্যাদাসম্পন্ন বিশেষ আদালতে বিচারাধীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সরকার ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখের একটি গেজেটে প্রকাশিত বিশেষ আদেশের মাধ্যমে নাজিমুদ্দীন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে অস্থায়ী আদালত বসানোর নির্দেশ দেয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৯(২) ধারা ও সংবিধানের ৩৫(৩) অনুচ্ছেদের ‘আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আদালতের’ বিষয়টি বিবেচনায় নিলে কারাগারে আদালত স্থাপনে আইন বা সংবিধানের লঙ্ঘনটা হলো কোথায়? সাত মাস ধরে মামলাটি ঝুলে আছে। কারণ একটিই, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাজনিত গরহাজিরা। ৫ সেপ্টেম্বর নতুন আদালতে শুনানির প্রথম দিনেই খালেদা জিয়া নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি অসুস্থ। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। ওই দিন তিনি কারাগারে এসেছিলেনও হুইলচেয়ারে করে। এতে কারাগারে আদালত স্থাপিত হওয়ায় কার্যত খালেদা জিয়ার উপকার হওয়ারই তো কথা। কিন্তু ঘটনা গড়াল অন্যদিকে। এরই নাম বুঝি রাজনীতি!
তবে একটি প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক। কারাগারে স্থাপিত আদালতের বিচার কি ‘প্রকাশ্য বিচার’ (Public Trial), নাকি রুদ্ধদ্বার বিচার বা ক্যামেরা ট্রায়াল?
‘প্রকাশ্য বিচার’ বলতে সাধারণভাবে জনসমক্ষে বা দৃশ্যমান বিচারকে বোঝায়; যেখানে মামলার পক্ষগুলো উপস্থিত ও বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। একই সঙ্গে জনগণও সেই বিচারিক কার্যক্রম দেখার সুযোগ পাচ্ছে। ‘প্রকাশ্য বিচারে’র প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিচারক প্রয়োজনে আদালত কক্ষে বিচারের সঙ্গে সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
বরং, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারায় বলা হচ্ছে, কোনো ফৌজদারি অপরাধ তদন্ত বা বিচারের সময় ধারণক্ষমতা সাপেক্ষে আদালত কক্ষে জনসাধারণের প্রবেশের সুযোগ থাকতে হবে। তবে আদালত চাইলে যেকোনো সময় আদালত কক্ষে ওই প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারেন। এটি আদালতের একান্তই নিজস্ব বিবেচনা। তা ছাড়া একটি মামলার রায়ে উচ্চ আদালত বলছেন, কারাগারে বিচার অনুষ্ঠান বেআইনি নয়। তবে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা আইনজীবীদের আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়াটা বেআইনি বলে গণ্য হবে। (২ ডিএলআর ৪০)
কারাগারের আদালতে খালেদার মামলার পক্ষগুলো বা সংশ্লিষ্ট লোকজন, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ কমবেশি সবার প্রবেশাধিকার ছিল। শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে মামলার সঙ্গে সম্পর্কহীন লোকের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রচলিত যেকোনো অর্থে এবং আইনানুগ বিবেচনায় তা ‘প্রকাশ্য বিচার’।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কারাগারে খালেদা জিয়ার বিচারকে বারবার ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ হিসেবে অভিহিত করে পুরো বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ প্রকৃত চিত্রটি কিন্তু ভিন্ন।
সাধারণভাবে একজন বিচারক যখন তাঁর নিজস্ব খাসকামরায় (প্রকাশ্য এজলাস নয়) অথবা কোনো রুদ্ধদ্বার কক্ষ বা এজলাসে সাক্ষ্য ও জবানবন্দি এবং জেরা গ্রহণ করেন তথা বিচারকার্য পরিচালনা করেন, সেটিই হলো ক্যামেরা ট্রায়াল। সে সময় বিচার কক্ষে শুধু মামলার পক্ষগুলো ও তাদের আইনজীবী (অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিম) উপস্থিত থাকেন। প্রচলিত আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্যামেরা ট্রায়ালের কথা বলা হয়েছে; যেমন—পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫-এর ১১ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ২০(৬) ধারায় ক্যামেরা ট্রায়ালের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ক্যামেরা ট্রায়ালকে আপাতদৃষ্টিতে ন্যায়বিচারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু ন্যায়বিচারের স্বার্থেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর। যেমন—ধর্ষণ মামলায় উন্মুক্ত আদালতে জনসমক্ষে জবানবন্দি দেওয়া ধর্ষিত নারীর (ভিকটিম) জন্য প্রচণ্ড অস্বস্তিকর এবং অপমানকর। তা ছাড়া প্রতিপক্ষের আইনজীবীর নানা ধরনের জেরাও ভিকটিমকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে ধর্ষণের বিবরণ শুনতে উত্সুক জনতাও আদালতে ভিড় জমায়। এমন পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এ ক্ষেত্রে ক্যামেরা ট্রায়াল হলেই বরং ভিকটিমের পক্ষে জবানবন্দি দেওয়া সহজ হয়। আইনে উল্লেখ থাকলে এমন ট্রায়াল সংবিধানবিরুদ্ধ নয় [৩৫(৬) অনুচ্ছেদ]। উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্ট, কারাগারে আদালত বসিয়ে খালেদা জিয়ার বিচার কোনোভাবেই ক্যামেরা ট্রায়াল নয়। একই সঙ্গে তা সম্পূর্ণ বৈধ ও সংবিধানসম্মত। তবে গেজেটটি শুনানির আগের দিন না হয়ে আরো আগে প্রকাশ পেলে বেশি গ্রহণযোগ্য হতো।
লেখক : আইনজীবী ও প্রাবন্ধিক
[email protected]
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
f7927e95-096d-4d93-9cb5-cade09b98872 | ঢাকা শহরে কিশোর ছাত্রদের ছয় দিনের উত্থানে দেশবাসী তথা ঢাকাবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল, এবার কিছু একটা হবে, সড়ক-মহাসড়কে আসবে শৃঙ্খলা, দ্রুত কমে আসবে মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু সেই শুভ সম্ভাবনা অঙ্কুরেই নিভে যেতে দেখলাম আমরা। বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৫৯ জন এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ৫৬১ দিনে সড়কে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজার ৮৪ জন, আহত বেশুমার। কী করুণ, ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক সংবাদ। একটি নিহত প্রাণের সঙ্গে কত যে জীবিত প্রাণ জড়িত তার হিসাব কে রাখে। তাদের ব্যথাতুর কান্নার কি সান্ত্বনা আছে? সঙ্গে আছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক দিক। এর ওপর কি কোনো গবেষণা হয়েছে?
সড়ক দুর্ঘটনা একটি দিক; কিন্তু সড়কে হত্যা আমরা কিভাবে মেনে নেব? এরই মধ্যে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। গজারিয়ায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পায়েল হত্যা, চট্টগ্রাম সিটি গেটে গত ২৭ আগস্ট রেজাউল করিম হত্যা, কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে পথচারী মেরিনা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে কোলের শিশু আকিফা হত্যা, সর্বশেষ দুর্ঘটনাকারী ঈগল পরিবহনের সিজ করা বাস থানায় আনার সময় মিরপুরে এসআই উত্তমের প্রাণহানি ওই বাসের চাপায়। চালকের দাবি, অবশ্য বাসে ব্রেক আগে থেকেই ফেল ছিল। তাহলে এর দায়িত্ব কার, থানার ওসির, না বাস মালিকের? রেকার কেন ব্যবহার করা হয়নি? এর জবাব কে দেবে? সড়কে মৃত্যু ছাড়াও অঙ্গহানি, এমনকি পঙ্গুত্ববরণ করতে হয় অনেক সময়। হত্যা ছাড়া বাসচালকরা আরেকটি জঘন্য অপরাধ করে থাকে, সেটা ধর্ষণ। এর ব্যাখ্যা কী? এই ক্ষমাহীন অপরাধ থেকে পরিবহনকর্মীদের বিরত রাখার দায়িত্ব কার? এটা চড়া মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা শহরে এখন শরতের আমেজ অনুভূত হয়। বৃষ্টি স্বল্প, তাই জলজট নেই। ধুলাবালিও কম। চুরি-ছিনতাইও নিয়ন্ত্রিত; অপহরণ, গুম খুনও কম। রাজনৈতিক উত্তাপ, সভা-মিছিল সড়ক অবরোধ খুব একটা হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যও স্থিতিশীল। কিন্তু যানজটে সড়কে শূন্যগতি, বেপরোয়া যান, সর্বত্র বিশৃঙ্খলা, অস্থিরতা, সেই সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, দুর্ঘটনা, অঙ্গহানি, মৃত্যুর মিছিল। প্রশ্ন জাগে, ঢাকা মহানগরীর সড়কের মালিক কে? শহরের যান নিয়ন্ত্রণের কর্তৃপক্ষ কে বা কারা? যানবাহন পরীক্ষণ সনদপত্র প্রদান, চালকের লাইসেন্স প্রদানকারী কে? বিআরটিএ, ডিসিসির কাজ কী? আরটিএতে কারা আছেন, মেট্রো আরটিসি প্রধান কে? পরিবহন মালিক বা শ্রমিক সমিতি কী? ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কিভাবে সময় কাটায়? এত এত কর্তৃপক্ষ আছে, মাঠে শুধু দেখা যায় মহানগর পুলিশকে। সব ঝামেলা-ঝুঁকি নেয় পুলিশ। নগরের যান চলাচল সচল রাখার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টাও করে অহর্নিশ, ফলে যেটুকু সচল আছে তাদের প্রচেষ্টার ফলে। কিন্তু এটুকুতে জনপ্রত্যাশার বা প্রয়োজনের সামান্যও পূরণ করতে পারছে না। যে কাজ করে, তার সমালোচনাও হয় সবচেয়ে বেশি। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ যে দোষত্রুটি বা ভুলের ঊর্ধ্বে, তা নয়। কী করলে ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা যায়, সেই পরামর্শ কিন্তু আমরা দিই না। শুধু চাই যানজট ও দুর্ঘটনামুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা। এই মহাসংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে এবং এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। ওপর-নিচ-পার্শ্ব চাপে নাকাল পুলিশ বাধ্য হয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ঝোড়ো পদক্ষেপ নেয় জনজীবনে স্বস্তির জন্য। এর কোনো কোনোটি উপকারের চেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। যেমন—ঈদের আগে ১০ দিনের সম্প্রসারিত ট্রাফিক সপ্তাহ প্রথম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সড়কে বাসের স্বল্পতায় নিম্ন আয়ের মানুষের মহাভোগান্তি ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য চড়া মূল্যে রিকশা বা সিএনজি ভাড়া গোনা—এ ছিল মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। সাধারণের এই অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকটি আগে মোটেও ভাবা হয়নি। হঠাৎ বাস উধাও হওয়ার কারণ ছিল—১. বাসের ফিটনেস না থাকা, ২. চালকদের সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা। এর পরিণতি এই হলো যে বিআরটিএ অফিসগুলো হলো মৌচাক, রানি মৌমাছিকে পাওয়ার জন্য অন্য সব মৌমাছি ভিড় করে অফিসে, তিন-চার গুণ দামে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে মিলতে লাগল ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। এক সংবাদ সূত্র মতে, প্রতি ৪২ সেকেন্ডে একটি করে ‘ফিটনেস সনদ’ ইস্যু করে বিআরটিএ অফিস। সনদ দিল; কিন্তু প্রসব করল সেই মহা-আনফিট গাড়ি। ফিটনেসের ক্ষেত্রে মোটা দাগে অন্তত ১. ব্রেক সিস্টেম, ২. স্টিয়ারিং বক্স, ৩. চাকা, ৪. দরজা-জানালা ও হ্যান্ডেল, ৫. বাসের ভেতরের আসন বিন্যাস দেখতে হয়। পাঠক, আপনারাই বলুন, আমাদের বিআরটিএ ফিটনেস ইস্যুর সময় এগুলো কোন ভৌতিক বলে করেছিল বিয়াল্লিশ সেকেন্ডে!
কয়েক দিন আগে ডিএমপি কমিশনার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। সহায়তা করবে ৩২২ জন রোভার স্কাউট। এই কর্মসূচির প্রধান তিনটি দিক—১. ঢাকা শহরে প্রধান সড়কগুলো থেকে চলাচলরত ১৫৯টি রুটের প্রায় ছয় হাজার লেগুনা উচ্ছেদ, ২. পুলিশের নির্ধারিত ১২১টি স্টপেজে বাস থামা নিশ্চিত করা, ৩. ৪০টি স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো।
ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণের জীবনযাত্রাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় রাখা, কোনো অবস্থায়ই জনদুর্ভোগ বাড়ানো নয়। নগরবাসী বলতে কি বিত্তবান গাড়ির মালিকদের বোঝানো হয়? লেগুনায় চলাচলকারী পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ কি ঢাকাবাসীর অন্তর্ভুক্ত নয়? বিকল্প ব্যবস্থা না করে লেগুনা বন্ধের সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? এতে কারা চড়ে তা জানা প্রয়োজন ছিল। অফিস যাত্রী নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, মধ্য আয়ের মানুষও এই লেগুনায় চড়ে। এতে তারা পরিকল্পনামাফিক স্বল্পব্যয়ে গন্তব্যে যেতে পারে। লেগুনা চার চাকার গাড়ি, শহরে যানজটের কারণে লেগুনার দুর্ঘটনাও কম।
সমগ্র থাইল্যান্ড, ভারতের দিল্লিসহ বড় শহরগুলোতে লেগুনা, তিন-চার চাকার ইজি বাইকের মতো বৈদ্যুতিক যান চলাচল করে। বিদেশিরাও এগুলোতে ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য চড়ে। তবে সেগুলো সুন্দর, আরামদায়ক, রক্ষণাবেক্ষণ ভালো এবং দক্ষ চালক দ্বারা চালিত হয়। পুলিশ কমিশনার আকস্মিকভাবে কার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিলেন জানাননি। তাঁর মতে, লেগুনা শুধু বছিলা ও ৩০০ ফুটে চলতে পারে। লেগুনার মালিকরা দাবি করেছে, রুট পারমিট নিয়ে তারা লেগুনা চালায়। তার ওপর পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়মিত চাঁদা দেয়। বিআরটিএর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রুট পারমিট নিয়েই লেগুনা চলাচল করে এবং এই রুট পারমিট দেওয়ার এখতিয়ার মেট্রো আরসিটির, যার সভাপতি ডিএমপি কমিশনার। লেগুনা বাতিল নয়, দরকার গাড়ির ফিটনেস ও অভিজ্ঞ চালক চালাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা। মানুষ রসিকতা করতে শুরু করেছে—নগরে গাড়ির গতি যেভাবে নেমে এসেছে, দাবি উঠবে গরু-মহিষের গাড়ি চালু করার, যা একসময় ছিল।
এবার আসা যাক ঢাকা শহরে ১২১টি বাস স্টপেজ নির্দিষ্টকরণ প্রসঙ্গে। যে আদেশটি বাসচালক, মালিক-যাত্রীরা অমান্য করবে, তা একতরফাভাবে চালু করার চেষ্টা কেন? যানজটে শহরে যানবাহনের যে গতি, বলা যায় প্রায় পুরো শহরই বাস স্টপেজ। বাস মালিকরা বলছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পুলিশ একতরফাভাবে স্টপেজ নির্ধারণ করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগানোর পর পুলিশ এটা কার্যকর করবে। একটা কথা আছে, ভূতের পা উল্টা দিকে। আগে যেখানে বাস স্টপেজ ছিল ২০০-এর মতো, যেখানে বাস-যাত্রী উভয় বৃদ্ধির পর বাস স্টপেজের সংখ্যা ২০০-এর বেশি হওয়ার কথা, সেখানে উল্টো হ্রাস করা হলো কোন যুক্তিতে? এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মালিক-শ্রমিক সমিতি, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন, আর কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে টেকসই ও গ্রহণযোগ্য হতো। কারণ ঢাকা শহরের ট্রাফিক সচল রাখার দায়িত্ব এককভাবে পুলিশের নয়। প্রয়োগ পুলিশের, এটা ঠিক; কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্যদেরও সহযোগিতা করতে হবে। সব ব্যর্থতার দায় শুধু পুলিশের ওপর চাপানো হচ্ছে, এটা পুলিশকে বুঝতে হবে। এ ধরনের নতুন যেকোনো বড় সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্টদের জড়িয়ে নিতে হবে। যান চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশকে সর্বাগ্রে এলাকার জনস্বার্থ বিবেচনায় নিতে হবে। যেকোনো ব্যবস্থা সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে নিতে হবে। যান চলাচলের অব্যাহত ধারা রক্ষার জন্য গৃহীত ব্যবস্থার কুফল যে কম নয়, সেই ধরনের দুটি উদাহরণ প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করছি। বাড্ডা-গুলশান লিংক রোড মোড়। এই মোড়ে যান চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমান ব্যবস্থা। উল্টো দিকও দেখা যেতে পারে। পশ্চিম দিক থেকে আসা দক্ষিণগামী যানগুলো মোড়ে এসে ছোট গাড়ি আধা কিলোমিটার, বড় গাড়ি এক কিলোমিটার উত্তরে গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে আবার লিংক রোডের পাশ দিয়ে দক্ষিণে যায়। অন্যদিকে উত্তর দিক থেকে পশ্চিমগামী যানগুলো লিংক রোড পার হয়ে ৪০০ গজ গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে লিংক রোড হয়ে পশ্চিমে যায়। বাংলায় একটা কথা আছে—‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’। চতুর্মুখী যানগুলো বাধ্য হয়ে রাস্তায় ভিড় করে যানজট সৃষ্টি করে, অধিক সময় ব্যয় হয়, জ্বালানি পুুড়ে অধিক। বাস্তবটি হচ্ছে সবমুখী বাসযাত্রী ওঠানামার জন্য ওই মোড়ে দাঁড়ায়। বাস্তবে দূরবর্তী ইউটার্নগুলো কোনো কাজে তো আসেইনি, দুর্ভোগ বাড়িয়েছে আরো। ঢাকার আরেকটি আবাসন এলাকায় দক্ষিণ দিক থেকে পূর্বমুখী নিজ আবাসনে আসতে পূর্বে একটি সরাসরি মোড় খোলা ছিল। এ ছাড়া আরো তিনটি কাটা ছিল উত্তর দিকে পর পর। হালে সব বন্ধ। ফলে সেই আবাসনের গাড়িগুলোকে চার-পাঁচ কিলোমিটার বেশি ঘুরে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। ফলে অধিক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চার-পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে অধিক জ্বালানি পোড়ানো এবং সময় ব্যয় হচ্ছে। অথচ মোড়ে জট সর্বক্ষণ লেগেই থাকে। মানুষ চলমান যানের সামনে দিয়ে হেঁটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। শুধু মাঝের একটি কাটা মুক্ত করে দিলে এ সমস্যা মিটে যায়। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ট্রাফিকের বক্তব্য—বিদেশে এত ঘন ঘন রাস্তায় কাটা থাকে না। সে ক্ষেত্রে সদরঘাট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সব রাস্তাই কাটা বা ইন্টার সেকশন বন্ধ করে দিলে (ডিএমপির অফিসের সামনেসহ) ৩০ মিনিটে সদরঘাট থেকে টঙ্গী যাওয়া সম্ভব হবে।
এবার দৃষ্টি দেব মহাসড়কের অবস্থার দিকে, হতাহতের ঘটনাগুলো যেখানে হয় বেশি। এর কারণ অনেক। মহাসড়কে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, তেলের ট্যাংকার, লং ভেহিকলের পাশাপাশি সিএনজি, ইজি বাইক, লেগুনা, নছিমন, করিমন, ট্রাক্টর সবই চলে। যেখানে বড় গাড়িগুলোর গড় গতি ৭০ কিলোমিটার বা এর বেশি। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো ও ওভারটেকিং যেখানে এটি সার্বক্ষণিক দৃশ্য, সেখানে ধীরগতির গাড়ির সহাবস্থান একটি নিত্যদিনের ঘটনা। প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা তো সেখানে সর্বক্ষণই থেকে যায়।
আমাদের যানবাহনের তুলনায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ। বিদেশেও আমাদের চালকরা চাকরি করতে যাচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত যানচালকের মতো একটি জনশক্তি তৈরির খাতে একটিও সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়নি। সময় এসেছে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে সরকারি মোটর ড্রাইভিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা, যেখান থেকে বছরে অন্তত পাঁচ হাজার চালক (বিভিন্ন ধরনের) তৈরি সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিত মোটর মেকানিকও এখান থেকে পাওয়া সম্ভব। প্রয়োজনে বেসরকারি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। শিক্ষা, যোগাযোগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারে। বিআরটিএর কাজগুলো করার জন্য বেসরকারি খাতেও অংশত অর্পণ করা যায়। যেমন—গাড়ির ফিটনেস দেওয়া, লাইসেন্স ইস্যু ইত্যাদি। এত আন্দোলন, কর্মসূচি, ট্রাফিক সপ্তাহ, ট্রাফিক মাস, আদেশ, নিষেধাজ্ঞা, প্রচেষ্টার পরও মনে হচ্ছে অবস্থার এতটুকু হেরফের হয়নি। মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, নগরে সর্বত্র বাস স্টপেজ, বাঁকা করে বাস দাঁড় করানো, রেষারেষি করে চালানো, দৈনিক ভিত্তিতে চালক নিয়োগ—সবই চলছে আগের মতো। পুলিশ ব্যস্তসমস্ত হয়ে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছে; কথা শুনছে না সংশ্লিষ্টরা। জেব্রা ক্রসিং নেই যথাস্থানে। সড়কের একটি অংশ বেদখল হয়ে আছে এখনো। এর মধ্য দিয়েই এগোতে হবে। ছয় কম্পানির উন্নত বাস সার্ভিস এবং মেট্রো রেল হচ্ছে টেকসই সমাধান। এর পরও এসব ব্যবস্থা কিছুটা হলেও সড়কে দুর্ঘটনা কমাবে যেমন—১. আনফিট গাড়ি বন্ধ, ২. অদক্ষ চালক গাড়ি চালাবে না, ৩. নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো, ৪. ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বন্ধ, ৫. চালকের ক্লান্তি, ৬. চলন্ত চালকের মোবাইলকে না বলা, ৭. যাত্রী নেওয়ার রেষারেষি বন্ধ করা, ৮. যত্রতত্র পথ পারাপার বন্ধ করা, ৯. মহাসড়কে ধীরগতির যান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ, ১০, উড়াল সেতুতে ওভারটেকিং পূর্ণ নিষেধ করা। একটা কথা, পুলিশসহ সবাইকে মনে রাখতে হবে যে সড়কে শৃঙ্খলা ও যানের গতি সাবলীল করা পুলিশের একক দায়িত্ব নয়। পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সুবিধাভোগী সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজপতিদের কথা, তাঁরা সুবিধাভোগী হবেন এবং পুলিশ সাধুসন্তের মতো চেয়ে থাকবে এবং সব ঠিক করে দেবে, তা কখনোই হবে না। একটি পুরনো ঘটনা মনে পড়ল। সেটি ১৯৮৬ সাল। এক সেমিনারে বিলেতে বসবাসকারী এক ভদ্রলোক বিলেতের পুলিশের সক্ষমতা ও ভালো কাজের প্রশংসা শেষে বলা শুরু করলেন আমাদের পুলিশের আচরণ সম্পর্কে। সব বিষ উদিগরণ শেষে থামলেন। শেষ বক্তা হিসেবে তাঁকে শুধু স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম যে দুধ ছানলে মাখন হয়। পানি ছানলে কী হয়? শুধুই পানি। বিলেতের পুলিশ বিলেতের জনগণ থেকে এসেছে। আমাদের পুলিশ আমাদের জনগণ থেকে এসেছে। পুলিশের কাছ থেকে প্রত্যাশামতো কাজ পেতে হলে আগে আমাদের ঠিক হতে হবে। উদাহরণ ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে ইউরোপের মতো ট্রাফিক শৃঙ্খলা, জাহাঙ্গীর গেট পার হলে বাংলাদেশি রূপ। সবশেষ বলব, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হবে, আমরা বদলাব, সে জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ প্রিয় ঢাকা আমাদের প্রাণপ্রিয়, বাংলাদেশও আমাদের।
লেখক : সাবেক আইজিপি
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a9e59f71-fa94-4af3-8b0b-e07143549c17 | অসম নিয়ে, অসমের নাগরিক পঞ্জির নবায়নের কলাকৌশল নিয়ে লিখতে গেলেই সংশয় আর সংকোচ এসে সামনে দাঁড়ায়। যা বলতে চাই, লিখতে চাই, হয়ে ওঠে না। বেদনার মতো ‘ঘন যামিনীর মাঝে’ দিক হারায় না-বলা প্রেমের অস্বস্তি আর বলার বিষয়। ক্রমাগত বুকে বাজতে থাকে এক ধরনের ব্যর্থতা। কারণ সত্য সব সময় বানিয়ে বলা যায় না, বানাতে গেলেই অসংখ্য মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। সত্যকে, সত্যের বাস্তবকে তার অকৃত্রিম চেহারা দিয়ে যাচাই করা, বলা মানেই অকপট, বেপরোয়া ভাষণ। এ রকম বলার সাহস আর পরিবেশ কোথায়? রাজনীতির ক্ষুদ্রতা, অস্পষ্টতা সময়কে, সময়ের অভিমুখকে বড্ড বেশি ঘোলাটে, সংশয়াচ্ছন্ন করে তুলছে। ভয়ও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ভয়ের হাত থেকে যেমন আমার নিস্তার নেই, তেমনি সরব অথবা নির্লিপ্ত নির্বিশেষেরও রেহাই দূর-অস্ত্।
শুধু অসমকে নয়, ভয়টি ঘেরাও করছে উত্তর-পূর্বের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের, প্রতিটি জনগোষ্ঠীকে। বিশেষ করে এশিয়ার দ্বিতীয় বড় জনগোষ্ঠী বাঙালির যে অংশ এসব অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে বাস করছে, তারা আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তা নিয়ে আবার ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের সম্মুখীন। দেশভাগের পর তাদের সামনে এত বড় সংকট আর দেখা যায়নি।
পঞ্জি নবায়নের নৈরাজ্য নিয়ে যে হৈচৈ শুরু হলো, তখনই আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করলাম—মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুরেও প্রবল উৎপাত আছড়ে পড়ল; যার অন্য নাম অকারণ সন্দেহ আর হয়রানি। দ্বিতীয়ত, খসড়া তালিকা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিলং থেকে, মিজোরাম ও মণিপুরের সীমান্ত থেকে ঘন ঘন ফোন আসতে থাকে—আমাদের কথাও একটু লিখুন। বাস-গাড়ি থামিয়ে বারবার নথিপত্র চেক করা হচ্ছে, কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছে, আমরা যে ভারতীয় নাগরিক তার প্রমাণ কোথায়?
মানে সাধারণ যাত্রীকেও রাষ্ট্রীয় প্রশংসাপত্র, লিগেসি ডাটা সঙ্গে রাখতে হবে? নাগরিক পঞ্জির বিভ্রান্তি, অজস্র ত্রুটিবিচ্যুতি বেশ সাফল্যের সঙ্গে অন্তত একটা কাজ করতে পেরেছে যে সন্দেহ আর ভয়কে কয়েক শ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার এই দুটি প্রশ্নও জাগিয়ে তুলছে—অনুপ্রবেশ আর বিদেশি সমস্যার জুজু আর কতকাল, কত দিন অসমকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে, এসব অঞ্চলের বহুমুখী সমাজ ও রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করতে থাকবে এবং বাঙালি মানেই কি বিদেশি, বাংলাদেশি?
সম্ভবত এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানে না স্থানীয় রাজনীতিও। কিংবা তার বহুদলীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে ভাষা আর ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারকে যাঁরা ক্ষমতা দখলের সুলভ ও সহজতর হাতিয়ার ভাবতে অভ্যস্ত, তাঁরা, হ্যাঁ প্রধানত তাঁরাই গুজবতাড়িত অস্থিরতার অবসান চান না। চান সমস্যাটি টিকে থাক; চান বিদ্বেষ আর বিভাজনের কখনো চোরা, কখনো খরস্রোত শান্তি আর স্থিতির প্রবল বিরুদ্ধ হয়ে উঠুক। কেননা উন্নয়ন নয়, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নয়—ভণ্ডামি, ছলনা, সরকারি অর্থের লুটপাটই তাঁদের লক্ষ্য। শোষণ-তোষণ, নিশ্চল দারিদ্র্য, সাম্প্রদায়িকতাই ক্ষমতার বৃত্তে তাঁদের স্থায়িত্বের প্রধান শক্তি। তাঁদের, দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিছক লোক-দেখানো কৌশল। এ জন্যই প্রতিটি ভোটে, ভোটের আগে স্তিমিত বিদেশি অনুপ্রবেশকে ইস্যু করে তাঁরা জনগণকে প্ররোচিত, শঙ্কিত করে তোলেন। সংগত দ্রোহ আর ক্ষোভের মুখ ঘুরিয়ে দেন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরের হিংসা, ১৯৬০ সালের রক্তাক্ত অশান্তি, ১৯৭২ সালে শিক্ষার মাধ্যম নিয়ে সরকারি ইঙ্গিতে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ররোচনামূলক সিদ্ধান্ত; ১৯৭৯ সালে প্রয়াত সংসদ সদস্য হীরালাল পাটোয়ারীর শূন্য আসনের উপনির্বাচন ঘিরে ভোটার তালিকায় লাখ লাখ বিদেশি, বাংলাদেশির অন্তর্ভুক্তির ভুল, গুজবছোঁয়া তথ্য, তথ্যের বিকৃতি অসুস্থ রাজনীতির যে বিকট চেহারা খাড়া করেছে, সেই অদৃশ্য ভূতটাই অগুনতি অনুপ্রবেশের মিথ আর ‘মিথ্যা’কে দাঁড় করাতে চেয়েছে। বারবার ব্যর্থও হয়েছে। ব্যর্থতার সবচেয়ে উৎকট ও নিকটতম প্রমাণ—এ ইস্যুরই রক্তাক্ত আস্তিন ছুঁয়ে, কখনো হিংস্র, কখনো অহিংস আন্দোলন চাপিয়ে দেয় ছাত্রশক্তি। পরে রাজীব গান্ধীর আপসকামী আসাম চুক্তির প্রায় সঙ্গে সঙ্গে, সদৌ অসম ছাত্র সংস্থার রাজনৈতিক মঞ্চ... অসম গণপরিষদের ‘হাতি’ যখন ভোটে জিতে সরাসরি ক্ষমতার বৃত্তে প্রবেশ করল, তারাও বিদেশিদের খুঁজে বের করে শনাক্ত করতে অক্ষম হয়ে ওঠে। প্রশাসনকে এখানে-ওখানে ছোটাল, গঠিত হলো ট্রাইব্যুনাল, ট্রাইব্যুনালের তৎপরতায় চিহ্নিত হলো জনাকয়েক বিদেশি। মিথ্যাচারের লজ্জা ঢাকতে ডি ভোটার চিহ্নিত হলো কয়েক শ, অর্থাৎ লোক-দেখানো তল্লাশি চালিয়েও ‘হঠাৎ উপচে পড়া’ বঙ্গভাষী বিদেশিদের খোঁজ মিলল না। সজ্জন, মৃদুভাষী, প্রফুল্লকুমার মহন্ত তখন মুখ্যমন্ত্রী, ওই সময়ের নবপ্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনিও তাঁর, তাঁরই সংস্থা আসু আর অসম গণসংগ্রাম পরিষদের মনগড়া ‘নির্ভুল’(!) তথ্যকে প্রায় নিঃশব্দে হজম করলেন বটে; কিন্তু স্বস্তি তাঁর কপালে নেই। অস্বস্তি আর সন্ত্রাস ঘেরাও করল তাঁকে। কিন্তু তখনো জনরবে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে—কখনো ৬০ লাখ, কখনো ৭০ লাখ বিদেশি প্রবেশের জুজু। আর এই জুজুকে, জুজুর উপস্থিতিকে ছিনতাই করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল কৌশলপ্রিয় কংগ্রেস এবং আর্যাবর্তের বিভ্রান্তির রাজনীতি।
মাঝখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলো, ১০ বছর গদিকে দুর্নীতি দিয়ে, মিথ্যা দিয়ে আগলে রাখল; কিন্তু তারাও ‘বিদেশিদের’ খুঁজে পেল না। কংগ্রেসের দুষ্কর্ম আর দৃষ্টান্তহীন ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে, আঁতাতের রাজনীতিকে স্পর্শ করে বিদেশিদের সংখ্যাবৃদ্ধির কল্পনায় নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা আরো বেশি ইন্ধন জোগাল। গত বিধানসভা ভোটের আগে, প্রচারে তিনটি ইস্যু ছড়াল সর্বভারতীয় একটি রাজনৈতিক মঞ্চ—কংগ্রেসের অপশাসন, বিদেশি সমস্যা এবং উন্নয়নের স্তব্ধতা। এভাবেই জাতিপ্রেমী অসমিয়া সমাজকে প্ররোচিত করে তারা বিভ্রান্ত করে শাসকের ভূমিকায় প্রবেশ করল, দিজপুরে। কিন্তু তাদেরও পুরনো ভূত তাড়া করছে, ভূতের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে তারা শুরু করল ভিন্নতর খেলা। পূর্বঘোষিত, প্রতিশ্রুত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি করতে মাঠে নামাল প্রশাসনকে। কিন্তু এখানেও দেখা দিচ্ছে দুর্ভেদ্য জটিলতা। আইন আর নথিপত্রের যথাযথ সমর্থন নেই। নেই বাস্তবের স্বীকৃতি।
নদীতীরে চরাঞ্চলে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায়—উজান, নিম্ন আসাম ও দক্ষিণ আসামের ছোট-বড় শহরে যেসব বাংলাভাষী যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে, তাদের মর্যাদা আর অস্তিত্বে ঘা পড়ছে; তারা এখন ক্ষুব্ধ, অশান্ত, অপমানিত। সরাসরি বলছে, কংগ্রেসের অপশাসন থেকে রেহাই পেতে সাচ্চা ইমেজের প্রবক্তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েও বিদেশি অপবাদের কবল থেকে মুক্তি আরো বেশি দুষ্কর হয়ে উঠছে। সন্দেহ আর হয়রানি অনবরত ধাওয়া করছে। যদিও আইন তাদের সঙ্গী, অসমিয়া শুভবুদ্ধি তাদের বন্ধু, ইতিহাসও তাদের নিরপেক্ষ সমর্থক, তবু অভিযোগ আর রটনা অনবরত ধাওয়া করছে। মামলার পর মামলা হচ্ছে, দলিলপত্র পেশ করেও স্বস্তি নেই। সপ্রমাণ সন্ধান নেই বিদেশিদের। অতএব দুর্বল নথিপত্র আর আরোপিত সন্দেহের ভিত্তিতে জেলের ভেতর জেল, যার নাম ডিটেনশন ক্যাম্প—তৈরি করে পূর্ববঙ্গ থেকে এককালে আগত উদ্বাস্তু (যাদের আমরা শরণার্থী বলে সম্বোধন করব) এবং আসামের কৃষিব্যবস্থার সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে পরিশ্রমী উৎপাদক জনগোষ্ঠীর একাংশকে বিনা বিচারে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার কৌশল তৈরি করে শাসক আর প্রশাসন জানাতে চাইছে যে আমরা বসে নেই। আমরা সতর্ক। আমরা নাগরিক পঞ্জিকরণের নির্ভেজাল কর্মী।
বিতর্কিত প্রতিশ্রুত পঞ্জির ভবিষ্যৎ আমাদের জানা নেই। কতজন বিদেশি চিহ্নিত হবে, কেউ কেউ যদি সত্যি শনাক্ত হয়, তাদের অদৃষ্ট কোথায় ঝুলবে, কোথায় পুরবে—তাদের ভবিষ্যৎ কী, নির্বাসন না বন্দিশালায় দিনযাপন—সবই অনিশ্চিত। হ্যাঁ, কয়েকটি বিষয়ে আমরা খানিকটা নিশ্চিত হতে পারছি, তা হচ্ছে—ডি ভোটার করে দেওয়ার প্রক্রিয়া বজায় থাকবে, অনুপ্রবেশের অপবাদ চওড়া হয়ে গ্রামে-শহরে আতঙ্ক ছড়াবে, ছড়াতে থাকবে, জেগে রইবে হুমকি আর কল্পিত বিদেশি সমস্যাকে বাঁচিয়ে রাখার সুপরিকল্পিত রাজনীতি। ঠিক আগের মতো, রক্তপিপাসু অদৃশ্যের পায়ের ছাপের মতো; যে ভয় দেখাবে, গুজব ছড়াবে, বাড়িয়ে তুলবে নিরীহের আতঙ্ক। উর্বরা, জলময় আসামকে নির্জলা এবং আরো বেশি দুর্নীতিময় করে রাখার অন্য রকম ফন্দি আঁটবে। এতে তার মুনাফা কী? আসামের মানচিত্রের আয়তন কমবে, লড়াই বাড়বে। জ্যান্ত আকার নিয়ে বৃহত্তর, নিরপেক্ষ অসমিয়া জাতি গঠনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকে ভয় দেখাবে বর্ণমালার প্রথম হরফ অ-র নিচের অজগর। আর এই সুযোগে প্রশস্ত আরো প্রশস্ত, দীর্ঘ, দীর্ঘতর হয়ে উঠবে দুর্নীতির লঘুগুরু হাত।
এই অপ্রিয় সত্যটাই বলতে আমরা ব্যর্থ। সংকোচ আর সাহসের অভাব আমাদের আটকে দিচ্ছে। ঘেরাও করছে ভয়। যারা লিখি, লেখায় রক্তক্ষরণের চিহ্ন নেই। যারা মাঠেঘাটে গলা ফাটাই, তাদের ভাষণে অকপট উচ্চারণ নেই। অনেকেই ‘আমরা বনাম ওরার’ বেড়াজালে বন্দি। বিভাজনের আগ্রাসনে দিগ্ভ্রান্ত। ভেতরের সত্যকে, স্তম্ভিত আর্তনাদকে আরোপিত সংশয় যখন চারদিক থেকে চেপে ধরে তখন মিথ আর মিথ্যা হাজার হাজার শাখা ছড়ায়। এআরসির অ্যানার্কিও মিথ্যার উৎস ও বিস্তারে বিস্তর রসদ জোগাচ্ছে। ‘অ্যানার্কি’ রুখতে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস কই? মানুষ কি এতটাই দুর্বল? এতটাই ক্ষীণ আর দুর্বল তার আত্মশক্তি?
লেখক : ভারতীয় কলাম লেখক
সম্পাদক, মাসিক আরম্ভ পত্রিকা
[email protected]
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
352ba630-4fe3-43d6-b2b1-874ee1d4b189 | একসময়ে শুধু মহিষমর্দিনীরূপে দেবী দুর্গার পূজা প্রচলিত ছিল। লক্ষ্মী এখনকার মতো লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ও শিবের প্রতিমা দেবী দুর্গার সঙ্গে ছিল না। প্রচলিত বিশ্বাস এই, সম্রাট আকবরের সময়ে ষোড়শ শতকের শেষের দিকে বর্তমান রূপের শারদীয় দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়। মনু সংহিতার বাঙালি টীকাকার কুল্লুকভট্টের পিতা উদয় নারায়ণ যজ্ঞ করতে ইচ্ছুক হয়ে রাজশাহী জেলার অন্তর্গত তাহিরপুরের রাজপুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয়ের কাছে উপদেশ নিতে যান। রমেশ শাস্ত্রী তাঁকে দুর্গাপূজা করার উপদেশ দেন এবং নিজেই একখানা দুর্গাপূজা পদ্ধতি রচনা করেন। অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করেছিলেন সম্ভবত উদয় নারায়ণের পৌত্র কুল্লুকভট্টের পুত্র রাজা কংস নারায়ণ।
তাই বলে এটাই প্রথম দুর্গাপূজা নয়। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা হয় সেই পদ্ধতিতে এবং রমেশ শাস্ত্রী সংকলিত রীতি-পদ্ধতিতে যে দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয়, সেই পদ্ধতির দুর্গাপূজা এখনো চলছে। এর দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় না যে রাজা কংস নারায়ণই প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন করেন, এর আগে দুর্গাপূজার প্রচলন ছিল না।
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত তাঁর ‘ভারতের শক্তি ও শাক্ত সাহিত্য’ শীর্ষক গ্রন্থে বাংলায় দুর্গাপূজার প্রচলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেছেন, ‘দুর্গাপূজা ঠিক কখন হতে বাংলাদেশে প্রচলিত একবারে সেকথা নিশ্চিত করিয়া কিছু বলা যায় না।’
দুর্গাপূজার বিধানসংবলিত যে পুঁথিগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো দেবী পুরাণ-মার্কণ্ডেয়, পুরাণ-দেবী-ভাগবত, কালিকা পুরাণ, ভবিষ্যপুরাণ, বৃহৎ নদ্দিকেশ্বর পুরাণ প্রভৃতি উপপুরাণ থেকে সংকলিত। বিদ্যাপতি লিখেছেন ‘দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী।’ তাতে উদ্ধৃত হয়েছে, ‘কলিবিলাসতন্ত্রে’ কার্তিক-গণেশ, জয়-বিজয় (লক্ষ্মী-সরস্বতী) এবং দেবীর বাহন সিংহ সমেত প্রতিমায় শারদীয় দুর্গাপূজার উল্লেখ আছে।
স্মার্ত রঘুনন্দন (১৫০০-১৫৫৭ খ্রিস্টাব্দ)-এর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থে ‘দুর্গোৎসবতত্ত্ব’ নামক একটি মৌলিক গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন। রঘুনন্দন ‘কলিকাপুরাণে’ বৃহৎ নন্দিকেশর পুরাণ ও ভবিষ্য পুরাণসহ পূর্বতন গ্রন্থাদি থেকে অনেক উপাদান তাঁর গ্রন্থদ্বয়ে ব্যবহার করেছেন বলে নিজেই ঋণ স্বীকার করেছেন।
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত আরো উল্লেখ করেছেন : রঘুনন্দনের পরবর্তীকালের নিবন্ধনকার রামকৃষ্ণের নিবন্ধের নাম ‘দুর্গার্চনাকৌমুদি’। মিথিলার প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত বাচস্পতিমিশ্র (১৪২৫-১৪৮০) তাঁর ‘ত্রিয়াচিন্তামণি’ ও ‘বাসন্তীপূজাপ্রকরণ’ গ্রন্থদ্বয়ে দুর্গাদেবীর মৃন্ময়ী প্রতিমার পূজা পদ্ধতি বিবৃত করেছেন। বাচস্পতি রঘুনন্দনের বয়োজ্যেষ্ঠ বিবৃত ছিলেন। বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতি (১৩৭৫-১৪৫০) তাঁর ‘দুর্গাভক্তিতরঙ্গণী’ গ্রন্থে (১৪৭৯) মৃন্ময়ী দেবীর পূজা বর্ণনা করেছেন। রঘুনন্দনের গুরু শ্রীনাথের ‘দুর্গোৎসব বিবেক’ গ্রন্থে উত্তর পদ্ধতির আলোচনা পাওয়া যায়।
দ্বাদশ শতকের নিবন্ধকার শূলপাণির দুর্গাপূজাবিষয়ক তিনটি নিবন্ধগ্রন্থ আছে। যথা—‘দুর্গোৎসব বিবেক’, ‘বাসন্তী বিবেক ও দুর্গোৎসব-প্রয়োগ’। শূলপাণি তাঁর পূর্ববর্তী নিবন্ধনকার জীবন ও বালক নামক দুজন পণ্ডিতের বাকাবলি উদ্ধার করেছেন। বাংলার প্রাচীনতম স্মৃতিকার ভবদেব ভট্ট ও জীকন এবং বালকের বহু বাক্য উদ্ধার করেছেন। জীকন ও বালক বাংলার সেনরাজাদেরও পূর্ববর্তী ছিলেন এবং ভবদেব ভট্ট ছিলেন একাদশ শতকের রাজা হরিদেব বর্মণের প্রধানমন্ত্রী।
ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার উল্লেখ করেছেন যে বর্তমানে শরৎকালে বাংলায় দুর্গাপূজা হয় তা মহিষমর্দিনী। পুরুলিয়ার দেইলাঘাটায় মহিষমর্দিনী দুর্গা নবম শতকে নির্মিত ক্লোরাইট পাথরের একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। অবশ্য মহিষমর্দিনী বা প্রাচীনতম নিদর্শন হচ্ছে মধ্য ভারতের উদয়গিরিতে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সময়ে নির্মিত একটি প্রস্তর মূর্তি। মূর্তিটি চতুর্থ শতকের।
এ পর্যন্ত আলোচনায় আমরা দেখলাম যে চতুর্থ শতকেও মহিষমর্দিনী বা দুর্গার পূজা করা হতো। অবশ্য দুর্গা উমা বা পার্বতীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই, সেই সঙ্গে লৌকিক দেবতা চণ্ডীও।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে দুর্গরক্ষাকারিণী এক দেবীর পূজা করা হতো। তাঁর নাম অপরাজিতা।
তৈত্তিরীয় আরণ্যকের অন্তর্গত যাজ্ঞিকা উপনিষদে দেবীর নাম হিসেবে দুর্গা নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। ঋগেবদেও স্ত্রী দেবতা হিসেবে দেবী সুক্তে দেবীর বন্দনা করা হয়েছে।
উমা-পার্বতী, দুর্গাচণ্ডী প্রভৃতি শক্তিদেবীর সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে একটি কথা বোঝা যায়, দেবীর মধ্যে শাক্ত মতের বা মাতৃপূজার নানা কাল্ট বা ধর্মমতের ধারা এসে মিশেছে। এর মধ্যে লৌকিক দেবী, বৌদ্ধ দেবী ও পৌরাণিক দেবী—এই তিনটি প্রধান ধারার সমন্বয় ঘটেছে। মিশে গেছে ‘নবরাত্র’ উৎসব, যে উৎসবে দেবী মূর্তিতে নয়, ঘটে ও মন্ত্রে পূজিত হয়ে থাকেন।
দুর্গাপূজার মন্ত্রে বৈদিক ও তান্ত্রিক উভয়বিধ মন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। তন্ত্রে পরমা প্রকৃতি হিসেবে শক্তির দেবী এবং পরম পুরুষ হিসেবে শিবের পূজা তথা শিব-শক্তিভিত্তিক কায়া সাধনার প্রাগার্য তত্ত্ব ও প্রায়োগিক দিকের আলোচনা হয়েছে। আবার শস্যের দেবী এবং উর্বরতার দেবী হিসেবে স্ত্রী-দেবতা ও মাতৃকার পূজা সিন্ধু সভ্যতার অনেক আগে থেকে চলে এসেছে। সিন্ধু সভ্যতার কাল খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ বছর থেকে ১৯০০ বছর পর্যন্ত। আর্যরা প্রাগার্যদের কাছ থেকে মূর্তিপূজার ঐতিহ্য গ্রহণ করেছিল। আর হিন্দু সভ্যতা প্রাগার্য ও আর্য সভ্যতার সমন্বয়ের ফলেই গড়ে উঠেছিল।
যা হোক, সিন্ধু সভ্যতায় মাতৃকাদেবী মূর্তির বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ থেকে বোঝা যায় মাতৃকা তথা শক্তি দেবতার পূজা খ্রিস্টপূর্ব আড়াই হাজার বছর আগেও প্রচলিত ছিল।
এবার বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বাইরে তাকানো যাক। গ্রিসের রুহী দেবী, এশিয়া মাইনরের সিবিলি, ইজিপ্টের ইস্থার, আইসিস প্রভৃতি প্রাচীন মাতৃকাদেবী ভারতবর্ষীয় মাতৃকাদেবীর অনুরূপ। ঠিক মহিষমর্দিনী দুর্গার অনুরূপ এক দেবী হচ্ছেন ভূমধ্য সাগরাঞ্চলের বাইর্গো দেবী। এই বাইর্গো যুদ্ধের দেবী। ভূমধ্য সাগরাঞ্চলবাসী মন-খেম্ও জাতিকে পরাজিত করেছিলেন। এই মহিষমর্দিনী দেবী মূর্তির মূল কথা বলেছে অনেকে। এই মন-খেম্ও কি মহিষাসুর? অন্তত এর মধ্যে ভারতবর্ষের বাইরের সাক্ষ্যে দেবী ও মহিষাসুরের যুদ্ধের এবং মহিষমর্দিনী তথা দুর্গাপূজার প্রাচীনতার একটি পরিচয় মেলে।
এবার কিছু পৌরাণিক প্রমাণ গ্রহণ করা যাক। ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজা করেছিলেন। বৃহৎ নন্দিকেশ্বর পুরাণের বোধনমন্ত্রে এর উল্লেখ আছে। যদিও বাল্মীকির রামায়ণে রাম কর্তৃক দুর্গাপূজার ঘটনা নেই। বাল্মীকির পুঁথিতে না থাকলেও রাম দুর্গাপূজা করেননি, এ কথা বলা যায় না এবং তা যৌক্তিক নয়। বাল্মীকির রামায়ণ খুঁজে দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ না পেয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারে বলে বাহুল্য হলেও এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখলাম।
শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবীর বোধন করেন। বোধন মানে জাগানো। এর অর্থ কী? প্রাচীন রীতি অনুসারে হিন্দুরা বর্ষকে দুভাগে ভাগ করেছেন—দক্ষিণায়ন ও উত্তরায়ণ। আষাঢ় মাস থেকে সূর্যদেব মকর রাশিতে অগ্রসর হতে থাকেন একে দক্ষিণায়ন বলে। আর পৌষ মাসে সূর্যদেব আবার উত্তর দিকে আসতে শুরু করেন। একে উত্তরায়ণ বলে। দক্ষিণায়ন দেবতাদের নিদ্রার কাল। শরৎকাল দক্ষিণায়নের মধ্যে পড়েছিল বলেই শ্রীরামচন্দ্রকে দেবীর বোধন করাতে হয়েছিল অর্থাৎ শ্রীরামচন্দ্রকে দেবীকে জাগাতে হয়েছিল। শরৎকালে দুর্গাপূজা করার সময় তাই এখনো দেবীর বোধন করা হয়। এতে বাসন্তীপূজার মতো শুধু আমন্ত্রণ অধিবাস করলে চলে না।
অনেকে মনে করে, শ্রীরামচন্দ্রই বহু আগে শরৎকালে দেবীর আরাধনা করেন এবং তিনিই সর্বপ্রথম অকালবোধন করেন। এ ধারণা ঠিক নয়। শ্রীরামচন্দ্রের আগেও শরৎকালে দেবীর পূজা প্রচলিত ছিল।
শ্রীরামচন্দ্রের বহু আগে স্বারোচিষ মন্বন্তরে হৃতসর্বস্ব হয়ে চৈত্রবংশীয় রাজা সুরথ মেধস মুনির আশ্রমে গমন করেন। মেধস মুনি তাদের নদী তীরে দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণ করে ‘দেবীসূক্ত’ দ্বারা দেবীর আরাধনা করার উপদেশ দেন। তখনো চণ্ডী বা দেবী মাহাত্ম্য পাঠ প্রচার হয়নি। তাই ভক্তরা দেবীসূক্ত পাঠ করেই শক্তির আরাধনা করত। সুরথ রাজা ও সমাধি বৈশ্য তিন বছর দেবীর আরাধনা করে রাজা সুরথ তাঁর হৃতরাজ্যে ফিরে পান। মার্কণ্ডেয় পুরাণের শ্রীশ্রী চণ্ডী অংশে এ ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। মনোমোহন গুহ তাঁর ‘বঙ্গে দুর্গোৎসব’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন : ‘এই মেধস মুনির আশ্রম চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতীরে ছিল। খুব সম্ভবত রাজা সুরথ নিকটবর্তী কোনো প্রদেশের রাজা ছিলেন। দেবীর কৃপায় নিজ রাজ্য লাভ করিয়া নৃপতিবর যে দেবী পূজা প্রচলন করিবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এইরূপে বঙ্গদেশে দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি গড়িয়া পূজার প্রচলন হয়।’ অবশ্য এ মত এখনো সর্বসম্মত নয়।
স্বারোচিষ দ্বিতীয় মনু। পৌরাণিক উল্লেখ অনুসারে তাঁর মন্বন্তরে মৃন্ময়ী মূর্তিতে দুর্গাপূজার প্রচলন ঘটে। বলা বাহুল্য, এ পর্যন্ত সর্বমোট ছয় মনু অতীত হয়েছেন। এখন সূর্যতনয় বৈবস্বত নামক সপ্তম মনুর অধিকার চলছে।
এখন মাতৃকা দেবীর পূজার আরো পেছনের কৃষি যুগের আগেকার অতীতের দিকে তাকাই। এ বিষয়ে পল্লব সেনগুপ্ত তাঁর ‘পূজাপার্বণের উৎস কথা’ নামক গ্রন্থে যা উল্লেখ করেছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। তিনি লিখেছেন, ‘প্রাচীনতম যেসব প্রাসঙ্গিক প্রত্ন-নিদর্শন পাওয়া গেছে তার থেকে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে নব্য প্রস্তর যুগ শুরু হওয়ার ঢের আগেই প্রত্ন-প্রস্তর যুগের মধ্য কিংবা শেষ স্তরের গোড়ার দিকে মানুষের মানসলোকে মাতৃকা সত্তার প্রতিষ্ঠা ও আরাধনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন, সেই অতি প্রাচীন যুগের মাতৃকা মূর্তিগুলো কমবেশি ২০ হাজার বছর আগের প্রত্ন-প্রস্তর যুগের শেষ দিকে শেষ তুষারাচ্ছন্ন পর্বের মধ্যলগ্নে প্রমাণ হিসেবে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিল্লেরফে, ফ্রান্সের ল্যাসেলে, ইতালির স্যাভিন্যানোতে পাওয়া ভেনাস পিগারাইনস নামক মাতৃকামূর্তিগুলো এবং দক্ষিণ ইউরোপ প্রভৃতি অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত মাতৃকামূর্তিগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
এতক্ষণের আলোচনা থেকে দুর্গা তথা শক্তিপূজার প্রাচীনতা সম্পর্কে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো রেরিয়ে আসে।
১. মন্ত্রময়ী দেবীর পূজা থেকে যন্ত্র, ঘট ও প্রতীক এবং প্রতীক থেকে পরে প্রতিমাপূজার প্রচলন ঘটেছে।
২. বর্তমানে মহিষমর্দিনী দুর্গতিনাশিনী দুর্গার লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, শিব প্রভৃতি দেবতাসহ যে প্রতিমার পূজা প্রচলিত, তাও কমপক্ষে ৪০০ (চার শ) বছরের পুরনো। দুর্গা প্রতিমা শস্যদায়িনী (নবপত্রে যা দৃষ্টান্ত রয়েছে), উমা-পার্বতী, চণ্ডী ও অন্যান্য লৌকিক দেবী এবং শৈব ও বৈষ্ণব মতের সঙ্গে শক্তি মতের সমন্বিত অবস্থার পরিচয় বহন করে। হিন্দুধর্মে সামগ্রিকভাবেই এই সমন্বয় ঘটেছে।
৩. শুধু মহিষমর্দিনী দুর্গা পূজিত হচ্ছেন চতুর্থ শতক থেকে, এ ঐতিহাসিক প্রমাণ যেমন পাওয়া গেছে, তেমনি দ্বিতীয় মনু স্বারোচিষের মন্বন্তরে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য শ্রীরামচন্দ্রের বহু আগে সেই মহিষমর্দিনীর পূজা করেছেন এ পৌরাণিক প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। পৌরাণিক কাহিনিটি (শ্রীশ্রী চণ্ডীতে বিধৃত) এই প্রমাণ দিচ্ছে যে সুদূর অতীতেও মহিষমর্দিনীর পূজা বঙ্গদেশে-বাংলাদেশে আরো ক্ষুদ্র পরিসরে চট্টগ্রামে প্রচলিত ছিল।
৪. তৈত্তিরীয় আরণ্যকের যাজ্ঞিক উপনিষদে ‘দুর্গা’ নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।
৫. ঋগেবদের দেবী সূক্তে বাক্নাম্নী এক দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। তবে আর্যচিন্তাসম্ভূত ঋগেবদে স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য ছিল না।
৬. সিন্দু সভ্যতার কালে প্রাগার্য সভ্যতা পোড়ামাটির মাতৃকা মূর্তিগুলো থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে মাতৃকাপূজা সেকালে (২৫০০-১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) প্রচলিত ছিল। পরে পৌরাণিক যুগে আর্য ও প্রাগার্য সভ্যতার সংমিশ্রণের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট নতুন সভ্যতায় (হিন্দু সভ্যতা) দেবীর গুরুত্ব বাড়ে।
৭. লৌকিক দেবী এবং তন্ত্রের প্রমাণে প্রমাণিত যে দেবী পূজা বা শক্তি পূজা অতি প্রাচীন।
৮. ভারতবর্ষে ও বহির্বিশ্বে প্রাপ্ত মহিষমর্দিনী মূর্তিগুলো মহিষমর্দিনীর প্রাচীনতা প্রমাণ করে।
৯. সর্বশেষে বলা যায়, মাতৃকা মূর্তিপূজা কমবেশি ২০ হাজার বছর আগে থেকে প্রত্ন-প্রস্তর যুগের শেষ দিকে তুষারাচ্ছন্ন পর্বের মধ্যলগ্নেও প্রচলিত ছিল।
১০. আমরা ২০ হাজার বছর আগেকার সাক্ষ্য উপস্থিত করেছি। কিন্তু সেটাই যে শুরু তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিন্তু তার আগেকার তথ্য আমাদের জানা নেই।
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
acf44f6b-bb1d-4861-b813-d44bfc05e280 | কোথাও দেশ-বিদেশের লেখকরা আড্ডা দিচ্ছেন, কোথাও বা মেতে উঠছেন মনোমুগ্ধকর আলোচনায়। সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সংগীত, চিত্রকলাসহ শিল্প-সাহিত্যের নানা মাধ্যমের মানুষের আনাগোনা এসব আড্ডা-আলোচনায়। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলা একাডেমির চৌহদ্দিজুড়ে ছিল এমনই সব দৃশ্য।
ছুটির দিন থাকায় সাহিত্যামোদীদের ভিড়ও ছিল ব্যাপক। বাংলা একাডেমির বিভিন্ন মিলনায়তন ও কক্ষসহ প্রায় ৯টি ভেন্যুতে বিশ্বসাহিত্যের আলোচনায় মেতেছিলেন বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের দিকপালরা। পাশাপাশি ছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।
কবি অ্যাডোনিসের কবিতা পাঠ, অস্কারজয়ী অভিনেত্রী টিন্ডা সুইন্টনের আলোচনা, ম্যান বুকার জয়ী নাইজেরিয়ার বেন অকরির সাহিত্যালোচনা ও দেশের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র জীবনের গল্প ইত্যাদি আলোকিত করে তোলে লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনের আসর।
গতকাল সকাল ৯টায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। শেষ হয় যথারীতি রাত ৮টায়। এদিন ৩৮টি অধিবেশন হয়েছে। প্রতিটি অধিবেশনে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল প্রথম দিনের তুলনায় বেশি। দ্বিতীয় দিনে গতকাল অন্যতম আকর্ষণ ছিল উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত কবি অ্যাডোনিসের একক কবিতা পাঠ। অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সায্্।
অনুবাদের বিকল্প নেই : বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে পৌঁছে দিতে ভালো মানের ইংরেজি অনুবাদ থাকা জরুরি। আবার বিশ্বসাহিত্যকে আমাদের ভালোভাবে জানতে হলেও ইংরেজি সাহিত্যকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনে বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরতে ভালো অনুবাদের কোনো বিকল্প নেই। বাংলা একাডেমির ভাস্কর নভেরা এক্সিবিশন হলে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্রিটিক্যাল মুসলিম : লঞ্চ অব বাংলাদেশ ইস্যু’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ ও ইংরেজি সাহিত্যের বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা, সীমাবদ্ধতা এবং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই অধিবেশন হয়। আমের হোসেনের উপস্থাপনায় অংশ নেন লেখক ও অনুবাদক কায়সার হক, মারিয়া চৌধুরী, রাজিব রহমান ও সরবরি আহম্মেদ। কায়সার হক লালনগীতির একটি অনুবাদ পড়ে শোনান। এরপর তিনি ইংরেজি ভাষায় বাংলা সাহিত্য অনুবাদ, অনুবাদের সমস্যা, অনুবাদের মান ও বিশ্বসাহিত্যে বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ইংরেজি সাহিত্যের বাংলা অনুবাদের মান নিয়ে যেমন পাঠকদের প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
মা ও মেয়ের গল্প : সকালে একাডেমির বর্ধমান হাউসসংলগ্ন লনে অনুষ্ঠিত হয় ‘মা ও মেয়ে’ শীর্ষক অধিবেশন। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতের খ্যাতনামা অভিনেত্রী, লেখক ও শিশু অধিকারকর্মী নন্দনা সেন। তাঁর আরেক পরিচয় হচ্ছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মেয়ে। তাঁর মা হচ্ছেন ভারতীয় কবি ও লেখক নবনীতা দেবসেন। প্রাণবন্ত এ আলোচনা পর্বের সঞ্চালনা করেন দেশের নামি অভিনয়শিল্পী সারা যাকের।
হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র ও অন্যান্য কথা : বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অন্যতম কথক। তিনি সাহিত্যে যেমন ছিলেন পটু, ঠিক তেমনি পারদর্শী ছিলেন চলচ্চিত্রে সাধারণ গল্পকে ভিন্ন মাত্রা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। বাংলা একডেমির লনে অনুষ্ঠিত হুমায়ূন চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
চিত্রনায়ক রিয়াজের সঞ্চালনায় হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান ও সিনেম্যাটোগ্রাফার মাহফুজুর রহমান খান আলোচনায় অংশ নেন।
অন্যান্য অধিবেশন : দ্বিতীয় দিনের আসরে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘ফ্রম জানাদু টু নাইন লাইফস’ শীর্ষক অধিবেশনে আলোচনা করেন ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল। কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ‘অক্ষর ও অঙ্ক’ ও ‘এন অ্যান্ড দ্য বিগ হুম’ শীর্ষক অধিবেশন হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে হয় ‘পারফরম্যান্স অ্যাজ অথারশিপ’ শীর্ষক অধিবেশন। আলোচনা করেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্টন। দুপুর ২টায় কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ‘মেমোরিস অব এ পাবলিশার্স’ শীর্ষক অধিবেশনে আলোচনা করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউসের সদ্য সাবেক প্রধান জন ম্যাকিনসন। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে হয় ‘মিটু’ শীর্ষক অধিবেশন। ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনীকক্ষে বসে ‘সম্পর্কের এপার ওপার’ শীর্ষক অধিবেশন। বিকেল সোয়া ৩টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘দ্য ফেমিসেড রোড’ শীর্ষক অধিবেশনে জেরি পিন্টোর সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ম্যান বুকারজয়ী নাইরেজিয়ান কথাসাহিত্যিক বেন অকরি। বিকেল সাড়ে ৪টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছিল ‘হারস্টোরিজ : হোমগ্রো সুপারগার্লস’ শীর্ষক অধিবেশন। এ সময় ‘হারস্টোরিজ : হোমগ্রো সুপারগার্লস’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এ ছাড়া নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত মেয়েদের লাঠি খেলায় অংশ নেয় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ লাঠিয়াল দল। নাটক মঞ্চায়ন করে নাটকের দল বটতলা। বাচ্চাদের গল্প শোনান কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। মুস্তফা মনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় পুতুল নাচ, অজিত রায় সরকার ও নির্মল চন্দ্র রায় সরকার ও তাদের দল পরিবেশন করে কবিগান।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8c27f541-5567-4259-b92b-00c35e21db08 | নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের শশা ইজারা গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে একটি হিন্দু বাড়ির একাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। তবে ঘরের বেড়ার আগুনের তাপে তিন মাসের শিশু কেঁদে উঠলে রক্ষা পেয়েছে পুরো পরিবার। ঘটনার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কে আছে।
শশা ইজারা গ্রামের বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়িতে এ আগুনের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ওই সময় বাড়িটিতে ১৫-২০ জন সদস্য ছিল। বিশ্বনাথ জানান, কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তাঁরা দেখেননি। তবে স্থানীয় শহীদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁদের বিরোধ চলছে। এই আগুনের সঙ্গে ওই বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। ঘটনা জেনে মুক্তাগাছা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই ব্যবসায়ীর দুটি পাটের গুদাম গতকাল শনিবার ভোরে আগুনে পুড়ে গেছে। এতে তিন হাজার ৯০০ মণ পাট ও ৫০ বস্তা বাদাম পুড়ে ছাই হয়েছে। ওই গুদামে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আগুনের ঘটনা নাশকতা বলেই সন্দেহ করছেন ব্যবসায়ীরা।
মুক্তাগাছার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তাঁদের ঘরে থাকা তিন মাসের নাতি কেঁদে ওঠে। কান্না শুনে তাঁরা উঠে দেখেন শিশুটির বিছানার পাশের টিনের বেড়ায় আগুন জ্বলছে। এরপর শিশুটিসহ তাঁরা পরিবারের সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাঁরা আগুন নেভান।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রাও জানায়, জমি নিয়ে শহীদ মিয়ার সঙ্গে বিশ্বনাথ ঘোষের পরিবারের বিরোধ আছে। এর আগেও এই বাড়ির মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু এই পরিবারটিকে হুমকিও দিয়েছেন শহীদ।
প্রতিবেশী নুরুন্নাহার বলেন, গভীর রাতে চিৎকার শুনে তিনি দৌড়ে বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে আগুন লাগার ঘটনা দেখেন।
এলাকাবাসী মোশাররফ হোসেনও বলেন, বিশ্বনাথ ঘোষের সঙ্গে শহীদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে শহীদ মিয়া ওই বাড়িতে আগুন দিতে পারেন বলে তিনিও সন্দেহ করছেন। মোশাররফ আরো জানান, শহীদ মিয়া এর আগে স্থানীয় খামার বাজারে প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু পরিবারটিকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
মুক্তাগাছা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পি বলেন, শহীদ মিয়ার সঙ্গে বিশ্বনাথের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জের হিসেবে শহীদ মিয়া বাড়িতে আগুন দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শহীদ মিয়া বলেন, ‘বিশ্বনাথের সঙ্গে আমার জমিজমার কোনো বিরোধ নাই। কে বা কারা তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে আমি তা জানি না।’
মুক্তাগাছা থানার এসআই খায়রুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
তাড়াইলে পাটের গুদামে আগুন : তাড়াইল বাজারের নদীর ঘাটে অবস্থিত পাটের দুটি গুদামে গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগে। এতে দুটি গুদামসহ সব মিলিয়ে তিন হাজার ৯০০ মণ পাট ও ৫০ বস্তা বাদাম পুড়ে গেছে।
একটি গুদামের মালিক নিরঞ্জন সরকার এবং অন্যটির মালিক পরেশ পাল। তাঁদের দাবি, আগুনে তাঁদের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা বলছেন, তাঁদের গুদামে একে তো বিদ্যুৎ নেই। এ ছাড়া আগুন লাগার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি শত্রুতামূলক বলে তাঁরা মনে করছেন। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন তাঁরা।
তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আক্তারও জানিয়েছেন, পাটের গুদামে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। কাজেই বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া নদীর পাড়ঘেঁষা দুটি গুদামের একটি থেকে আরেকটির দূরত্বও বেশ খানিকটা পথ। তাই কিভাবে একই সঙ্গে দুটি গুদামে আগুন লাগল তা তদন্ত ছাড়া বলা মুশকিল।
ফয়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. দুলাল মিয়া বলেন, মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সন্দেহের কথা জানা যাচ্ছে। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া ছাড়া কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।
এ বিষয়ে তাড়াইল থানার ওসি চৌধুরী মিজানুর রহমান বলেন, কিভাবে গুদামে আগুন লাগল তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। তদন্তে রহস্য বের হয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
5db82529-3cff-44f9-bbf4-295cf784a3eb | বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ যতই বাড়ছে ততই কমছে দাম। বেশির ভাগ সবজির দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে দু-একটি সবজির দাম এখনো চড়া।
একইভাবে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মাছের দামও। সে ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের বাজারে এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।
তবে কমতে থাকা পেঁয়াজের দর আবার হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করায় এই নিত্যপণ্যটিতে কষ্ট পিছু ছাড়ছে না ক্রেতাদের।
রাজধানীর কলাবাগান, শংকর, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, পূর্ব রাজাবাজার, কারওয়ান বাজার, বাড্ডার গুদারাঘাটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন সবচেয়ে কমে এসেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম। বেশির ভাগ বাজারেই এই সবজিগুলো মিলছে প্রতি পিস ২০-২৫ টাকায়। তবে দু-একটি জায়গায় ৩০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রচুর পরিমাণে নতুন শিম এসেছে। এতে দামও কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে কেজি ১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে শিম বিক্রি হলেও এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। দু-তিন দিনের মধ্যে দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
কলাবাগানে বাজার করতে আসা এক ছাত্র মমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিছু কিছু সবজি এখন একটু কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক সবজির দাম ৫০ টাকা বা তার বেশি। তার পরও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলব এই কারণে যে কয়েক দিন আগেও বিভিন্ন ধরনের প্রতি কেজি সবজি কিনতে গুনতে হতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা।’
সেগুনবাগিচায় শামসুন নাহার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই তো শিম কিনেছি ১২০ টাকায়। এখন সেটা ৫০-৫৫ টাকায় পাচ্ছি।’
এ ছাড়া বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, মুলা ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ও আলু ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৪৫-৫৫ টাকা, নতুন আলু ১০০ থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৫৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা এবং বিভিন্ন রকমের শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের সবজির পাইকারি বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, নতুন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। এখন সরবরাহ বাড়তেই থাকবে, দামও কমতে থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরো কমবে।
সবজির দাম পড়তির দিকে থাকলেও হঠাৎ করে উল্টো আচরণ শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার। তিন-চার দিনের ব্যবধানে হঠাৎ করেই এই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এখন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজের সংকট আছে। ভারতীয় পেঁয়াজের হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি কমেছে। এ জন্যই একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতির কারণে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
এদিকে সবজির বাজারের মতো মাছের দামও বেশ কমেছে। ইলিশের সরবরাহ কমলেও সারা দেশ থেকে ঢাকায় প্রচুর পরিমাণ অন্যান্য মাছ আসতে শুরু করেছে। এ কারণে মাছের দামও একটু কমেছে বলে জানাল বিক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের টেংরা ও ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। ছোট আকারের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে, মাঝারি আকারের রুই ১৮০-২২০ টাকা কেজি এবং বড় আকারের রুই ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে। তা ছাড়া প্রতি কেজি পোয়া মাছ ১২০-১৪০ টাকা, সরপুঁটি ১৩০-১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
হাতিরপুল বাজারের মাছ বিক্রেতা আরিফ মিয়া জানান, বাজারে প্রচুর ছোট মাছ আসতে শুরু করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই নদীর। সব মিলিয়ে সরবরাহ বেড়েছে। এই কারণে বিভিন্ন মাছের দাম কমেছে।
এ ছাড়া বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের দেশি মুরগি ১৫০-২২০ টাকা, গরুর গোশত ৪৮০-৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে চালের দাম বেশ কিছুদিন ধরেই স্থির অবস্থায় রয়েছে। যদিও এখনো তা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আসেনি। আমনের নতুন চাল বাজারে এলে চালের দাম আরো কিছুটা কমবে বলে আশা করছে অনেকে।
সেগুনবাগিচার চালের পাইকারি দোকানি মজনু মিয়া বলেন, ‘নতুন ধান মিলগুলোতে ঢুকেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন চাল বাজারে আসবে।’
জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা বিআর-২৮ চালের দাম আরো এক দফা কমেছে। এ চাল এখন বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য চালের দাম সপ্তাহখানেক ধরে একই অবস্থায় রয়েছে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, সব ধরনের চালের দামই গত এক সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন ধরনের চিকন ও মোটা চালের দাম কেজিতে এক টাকা করে কমেছে। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চিকন চালের দাম এখনো ১৮.৬৩ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ১২ শতাংশ বেশি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
020cb919-1a97-4378-bfad-3023fcbb49b6 | খুলনায় উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনীর আত্মহত্যার মামলায় ‘বখাটে’ শামীম হাওলাদার শুভ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবিরসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইউসুফ আলী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট জমা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার লবণচরা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চার্জশিটে শুভ ও মাফিয়া কবির ছাড়াও শুভর বাবা শাহ আলম ও মা জাকিয়া বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত মো. হাসিবের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলায় পুলিশ বাদে মোট ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর রাতে নগরীর হরিণটানা প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে চাঁদনীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চাঁদনী খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় ১৪ অক্টোবর রাতে রবিউল বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ‘বখাটে’ শুভ, তার বাবা শাহ আলম ও মা জাকিয়া বেগম, হাসিব ও প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবিরকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ হাসিব ছাড়া বাকি চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার বাদী ও সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুভ প্রায়ই চাঁদনীকে উত্ত্যক্ত করত। জানতে পেরে চাঁদনীর বাবা রবিউল বিষয়টি শুভর মা-বাবাকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৩ অক্টোবর বিকেলে শুভ তার সাত-আটজন সহযোগী নিয়ে চাঁদনীদের বাসায় যায়। এ সময় রবিউলের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয় ও বখাটে শুভ রবিউলকে মারধর করে। একপর্যায়ে চাঁদনীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। রাতে আবার শুভ দলবলসহ তার মাকে নিয়ে চাঁদনীদের বাসায় যায়। এ ঘটনার পর ওই রাতেই চাঁদনী ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
লবণচরা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলায় আসামি করা হাসিবের সঙ্গে চাঁদনীর বাবার জমি বেচাকেনাসংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল। সে কারণে চাঁদনীর বাবা এই মামলার এজাহারে তার নাম দিয়েছিলেন। তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে হাসিবের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
bed9c4ac-cb85-47fb-bb2f-bf1224f1db38 | পোশাক, ঘর-গৃহস্থালি ও সূক্ষ্ম হাতের কাজের পণ্য থেকে শুরু করে খাবারদাবার সবই আছে একই চত্বরে। সেই সঙ্গে আছে শীতের পিঠাপুলিও।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিন দিনের মেলায় এসব ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে নানা পণ্য। ক্লাবের মহিলা শাখা এ মেলার আয়োজন করেছে। গতকাল এ মেলার উদ্বোধন করেন নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
১৪০টি স্টল নিয়ে বসেছে এ মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে মেলা। শীতের কথা মাথায় রেখে স্টলে স্টলে রয়েছে বাড়তি আয়োজন। শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজের পাশাপাশি আছে বাহারি নকশা ও রংবেরঙের শীতের পোশাক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতের ভাপা ও চিতই পিঠা টেনেছে মেলায় আসা সব বয়সী ক্রেতাদের। কাবাব, লুচি, গরম গরম জিলাপিও ছিল অন্যতম আকর্ষণ। বিক্রি হচ্ছে মধুও।
ঘর-গৃহস্থালির পণ্যের মধ্যে বিছানার চাদর, সোফার কুশন ও কাভার বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিছানার চাদর বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়।
সেলাই ছাড়া থ্রিপিস (সেলোয়ার-কামিজ-ওড়না) বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বা এর বেশি দামে। শাল ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, সোয়েটার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা মেলায় পণ্য পছন্দ হলে অর্ডার করেও যাচ্ছেন।
কালারফুল হোম ডেকোরের মালিক আফরোজা আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আাামি বাসায় পণ্য তৈরি করে বিক্রি করি। মেলা উপলক্ষে ছাড় দিয়ে বিক্রি করছি। অনেকে মেলায় পণ্য দেখে পছন্দ করে বেশি পরিমাণে কিনতে অর্ডার দিচ্ছে।’
আফরোজা আক্তার জানান, এবারে তিনি অপ্রচলিত কিন্তু প্রয়েজনীয় পণ্য এনেছেন। যেমন পর্দা আটকানো, ফ্রিজের হাতল ধরার কাপড়। অনেক ক্রেতা এসব পণ্য পছন্দ করে কিনছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, পাটের তৈরি রকমারি ব্যাগ ও লাইট ক্রেতার নজর কেড়েছে। এ স্টলের সামনে ভিড় রয়েছে। মেলায় রকমারি রেশমি চুড়িসহ বিভিন্ন রকমের চুড়ি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9483e1ec-9c8c-415a-ab93-e15fb2bf90a8 | ঢাকা মহানগরীর মোট বাড়ির মালিকদের প্রায় অর্ধেকই প্রতিবছর বাড়িভাড়া বাড়ান। সে হিসাবে অর্ধেক ভাড়াটেকে প্রতিবছর বাড়তি বাসাভাড়া গুনতে হয়।
রাজধানীর আবাসনব্যবস্থা নিয়ে জরিপ চালিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পুরান ঢাকা, মিরপুর, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার ৪০১টি বাড়িতে এই জরিপ চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নগরীর মানুষের আয়ের ৪৪ ভাগ অর্থ খরচ হচ্ছে বাসা ভাড়ায়। অথচ আদর্শ শহরের আয়ের সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ ভাগ অর্থ বাসা ভাড়ায় খরচ হয়। এ ছাড়া ৭১ ভাগ বাসায় কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই ৯৫ ভাগ বাসায়।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইডিজি) পরিচালিত বার্ষিক গবেষণা ‘নগর পরিস্থিতি ২০১৭ : ঢাকা মহানগরীর আবাসন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দা সেলিনা আজিজ। গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বসবাস করা ৬৮ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। আর ৩২ শতাংশ মানুষ নিজস্ব বাসায় থাকে। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষের এক হাজার বর্গফুট এবং তার চেয়ে ছোট বাসার চাহিদা। আর ৫ শতাংশ মানুষ দুই হাজার বর্গফুট বা তার চেয়ে বেশি আয়তনের বাসায় বসবাস করে।
তা ছাড়া আয়ের সঙ্গে সংগতি না থাকায় ঢাকা শহরে বসবাসরত ৬৮ শতাংশ লোক ঢাকায় নিজস্ব আবাসন কিনতে চায় না। এসব মানুষকে নিজস্ব আবাসন নিশ্চিত করতে নীতি সুবিধা সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদন।
সৈয়দা সেলিনা আজিজ বলেন, ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমানোর জোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার কাছাকাছি উপশহর গড়ে তুলে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মেট্রো রেলসহ আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দা সেলিনা আজিজ আরো বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় যারা ঢাকা শহরে আসতে এবং থাকতে বাধ্য হচ্ছে তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর যেসব নীতি সহায়তা থাকার পরও যেসবের বাস্তবায়ন নেই, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন করারও জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেন বিআইডিজির নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের শহরের ওপর চাপ কমাতে আশপাশ এলাকাগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে। মূল শহরের সঙ্গে এসব এলাকার যাতায়াতব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। আর মানুষের আবাসনব্যবস্থা উন্নত করতে হলে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা আরো সহজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি লোন সরবরাহ করতে গ্রাহকদের জন্য আলাদা ফান্ড করতে হবে। কারণ আমাদের ব্যাংকগুলো নীতিমালার কারণে ছয়-সাত বছরের বেশি মেয়াদে গৃহঋণ দিতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডিজির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সিরাজুল ইসলাম, রিসার্চ ফেলো ড. শাহনেওয়াজ হোসাইন প্রমুখ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a5480024-f18d-4d61-97e6-53f5faafac82 | বিগত ৯ বছরে সরকারের অর্জনগুলোর অন্যতম একটি হলো বিনা মূল্যে বই বিতরণ। সারা বিশ্বে এটি একটি নজিরও। যত প্রতিকূল অবস্থাই আসুক না কেন, সরকার যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়। আজ সোমবার বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে প্রায় ৩৫ কোটি বই। আর বিনা মূল্যের বইয়ের সঙ্গে যদি খাতা যোগ হয় তাহলে তা হবে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের আরেকটি মাইলফলক।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সরকার প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় করে প্রস্তুত করেছে ‘আমার বই’ ও লেখার জন্য ‘অনুশীলন খাতা’। এই খাতা বিতরণের ফলে প্রাক-প্রাথমিকে দরিদ্র পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীর হার সন্তোষজনক হারে বেড়েছে। কিন্তু পরের শ্রেণিগুলোতে শুধুই বই, বিনা মূল্যে খাতা মিলছে না। এ অবস্থায় দরিদ্র অনেক অভিভাবক খাতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ কিনতে না পারায় সন্তানের পড়ালেখা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরেও যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রাক-প্রাথমিক পরবর্তী পর্যায়ে বিনা মূল্যে খাতা দেওয়ার ব্যবস্থা হলে বড় ধরনের ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে সরকারের বিনা মূল্যে বই বিতরণের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বলেছেন, ‘বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ফলে দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুলমুখী হয়েছে। গত কয়েক বছরে স্কুলে যাওয়ার এই সূচক ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের আরেকটি বড় অর্জন শতভাগ শিশুকে স্কুলে আনা। কিন্তু প্রাথমিকে ভর্তির হার শতভাগ হলেও পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার আগেই ঝরে যায় প্রায় ২০ শতাংশ। এরপর মাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগে আরো প্রায় ৩৮ শতাংশ ঝরে যায়। এই ঝরে পড়ার হার কমানোর উপায় খুঁজছে সরকার।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, মূলত দারিদ্র্যের কারণেই শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। শিশুরা বিনা মূল্যে বই ও বিনা বেতনে স্কুলে পড়তে পারলেও তাদের অভিভাবকরা শিক্ষার অন্যান্য ব্যয় মেটাতে পারে না। এ জন্য শিক্ষায় আরো বিনিয়োগ দরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছে, শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে খাতা দেওয়ার মাধ্যমে সেই বিনিয়োগের প্রথম ধাপের কাজ শুরু করা যেতে পারে।
তবে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও, যারা বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রসারে কাজ করছে, তারা পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে খাতা, পেন্সিলসহ নানা শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করছে। ফলে এসব এনজিও স্কুলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যাও নেই বললেই চলে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, সরকারের নানা অর্জনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিনা মূল্যে খাতা বিতরণ করা গেলে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের পরের স্তরগুলোতেও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ বাড়বে। অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে হলেও নতুন বইয়ের সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মতো মূল বিষয়গুলোর সঙ্গে তিন-চারটি খাতা বিতরণ করলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়বে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ নানা দেশে অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা উপকরণও বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। সরকারের পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিক্ষা বাজেটে এ বিষয়ে নজর দেওয়া যেতে পারে। অন্তত শিক্ষা উপকরণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা বিতরণ করা যেতে পারে। এর আর্থিক মূল্য অপেক্ষা সরকারের সামগ্রিক অর্জন হবে অনেক বেশি।’
জানা যায়, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকারের গত ৯ বছরে ২৬০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯০ কপি বই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবের মধ্য দিয়ে চার কোটি ৪২ লাখ চার হাজার ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে তুলে দেওয়া হবে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই।
২০১৫ সালের মে মাসে কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলনে ১৪০টি দেশের শিক্ষামন্ত্রীরা বিনা মূল্যে বই বিতরণের খবর শুনে বেশ খানিকটা অবাক হন। আর এই মহৎ যজ্ঞের প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, এই ৩৫ কোটি বই যদি একটির সঙ্গে আরেকটি জোড়া দেওয়া যায় তাহলে হয়তো পুরো পৃথিবীই প্রদক্ষিণ করা যাবে। এবার এর সঙ্গে খাতা যোগ হলে তা হবে সরকারের জন্য আরেকটি মাইলফলক।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8c8bc53d-f0de-461c-b3a8-75f4c02a75a8 | আসাদুজ্জামান শামীম। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিয়ন পদে চাকরি করেন। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে রাহাত শাহরিয়ার এবার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হবে। আর ছোট মেয়ে রায়সাকে ভর্তি করানো হবে তৃতীয় শ্রেণিতে। কিন্তু দুই ছেলে-মেয়ের ভর্তি করাতে তাঁকে গুনতে হবে প্রায় সাড়ে আট হাজার টাকা। এরপর রয়েছে স্কুলের পোশাক থেকে শুরু করে নতুন বছরের জন্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা। সঙ্গে নোট বই তো আছেই। সব মিলিয়ে পিয়ন পদে চাকরি করা শামীমকে বছরের শুরুতেই দুই ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানো ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য অন্তত ১৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হবে। অথচ তিনি যে বেতন পান তাতে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ে। উপায়ান্তর না দেখে এরই মধ্যে হাজার দশেক টাকা ধারও করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু আসাদুজ্জামান শামীমই নন, তাঁর মতো রাজশাহী নগরীতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষেরা চলতি নতুন বছরে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বলা যায়, রাজশাহী নগরীর বেসরকারি স্কুলগুলোর ভর্তি ফির গ্যাঁড়াকলে পিষ্ট হচ্ছেন এসব পরিবারের অভিভাবকরা।
অন্যদিকে সরকারি ঘোষণার পরও রাজশাহীর দুটি মডেল স্কুলেও আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভর্তি ফি। দুটি স্কুলে নগরীর অন্যান্য স্কুলের চেয়ে ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে ব্যাপক হারে। এর মধ্যে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আদায় করা হচ্ছে ১১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। পুরনোদের ক্ষেত্রেও পাঁচ হাজার টাকার নিচে ভর্তি করানো হচ্ছে না। নগরীর এই স্কুলগুলোতে ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের অভিভাবকদের। কিন্তু তার পরও ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নীরবে এ অন্যায় সহ্য করে যাচ্ছেন মা-বাবারা। নানা কষ্টে বা ধার-দেনা করে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানোর অর্থ সংগ্রহ করছেন অভিভাবকরা।
আসাদুজ্জামান শামীম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে তো সংসার চালানোই যায় না। তার ওপর স্কুলগুলোতে হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের কারণে বছরের শুরুতেই দেনার মধ্যে পড়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু উপায় তো নাই। ছেলে-মেয়ে পড়াতে হলে ভর্তি ফি দিতেই হবে। না হলে ভর্তি করানোও যাবে না কোথাও।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুলটি সম্প্রতি সরকারি করা হয়। কিন্তু সরকারি ঘোষণার পরপরই বছর শুরু না হতেই ওই স্কুলের অধ্যক্ষ অন্তত ৭০ জন শিক্ষার্থীকে গোপনে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। একেকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা করে আদায় করে ৩১ গত নভেম্বর ওইসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর বন্দোবস্ত করা হয়। এখন নতুন বছরের ভর্তি শুরু হওয়ার পরও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ আদায় করা হচ্ছে ১১ হাজার ৫৬৫ টাকা করে। দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। আবার পুরনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে শুরু করে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ তায়েফুর রহমানকে গতকাল বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজও সরকারি ঘোষণা করা হয় একই সঙ্গে। সরকারি ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর নামে হাজার হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। এখনো একইভাবে নতুন ও পুরনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
এই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ছোট একটি ব্যবসা করে ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করাচ্ছেন। এরই মধ্যে স্কুল থেকে ভর্তি ফির জন্য ছয় হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। ফলে ছেলেকে ভর্তি করাতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।
তবে সরকারি ঘোষণা হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় আগের নিয়মেই ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি করেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তবে ভর্তি নিয়ে কোনো বাড়তি অর্থ আদায় ও অগ্রিম শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর কথা অস্বীকার করেন তিনি।
রাজশাহী নগরীর নজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে এবার প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে দুই হাজার ৪৮০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে পুরনোদের ক্ষেত্রে আদায় করা হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকা করে। স্কুলের নানা খাতে অর্থ ব্যয়সহ এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এর বাইরে রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি, রিভার ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, লোকনাথ স্কুল, রাজশাহী গার্লস স্কুল, লক্ষ্মীপুর গার্লস স্কুলসহ প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাড়তি বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ (গত বছরের) পরিপত্র অনুযায়ী, মফস্বল এলাকায়, জেলা শহর বা অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় (ঢাকা নগরী বাদে) বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক/নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্তি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি ফি ও সেশন চার্জসহ ৫০০ থেকে শুরু করে সর্বসাকুল্যে তিন হাজার টাকা আদায় করা যাবে। রাজশাহী মহানগরী হওয়ায় সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা যাবে। কিন্তু এখানকার স্কুলগুলোতে সেই নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইচ্ছামতো অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কোনো স্কুলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পেলেই সে স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
fde82c1b-22eb-4b0f-bf77-ff8765966c72 | সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় ঘুরে বেড়াত তিনজনের একটি দল। তাঁদের একজন নারী আর দুজন পুরুষ। দলের প্রধান লম্বা চুলের ‘আধ্যাতিক সাংবাদিক’ রেজাউল ইসলাম টিটু কখনো সাজতেন বাউল শিল্পী, আবার কখনো মাইজভাণ্ডারীর পীরের মুরিদ। টিটুর সহযোগীরা হলেন ফয়েজ আহম্মেদ ও সুমী। মূলত বেকার তরুণদের টার্গেট করে তাঁরা সম্পর্ক গড়তেন। এরপর ওপর মহলে তাঁদের সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়ে সরকারি ব্যাংকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতেন। এরপর প্রতি চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে দুই থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাসা ও অফিস বদল করে সটকে পড়তেন তাঁরা। এই প্রতারণার মূল হাতিয়ার সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ছয়টি ভুয়া ওয়েবসাইট। আইটি প্রকৌশলী মাহমুদুল হক মিঠুনের মাধ্যমে তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়োগের ভুয়া তালিকা প্রকাশ করে বিভ্রান্ত করা হতো চাকরিপ্রার্থীদের। ফেসবুকে টিটুর রয়েছে ছয়টি আইডি, বাসার ঠিকানাও ছয়টি। রয়েছে অনেক মোবাইল ফোন নম্বর।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই জালিয়াতচক্রটি শনাক্ত করেছে। মিঠুনকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে চক্রের হোতা টিটুকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। রিমান্ড শেষে গতকাল রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন টিটু। ফয়েজ ও সুমী এখনো পলাতক। জবানবন্দিতে টিটু দাবি করেন, সহজেই কোটিপতি হওয়ার আশায় গত এক বছর ধরে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন তিনি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁরা অনেক মানুষকে প্রতারিত করেছেন।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত সাত-আটজন ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে চারটি মামলা করার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি প্রতারণার ঘটনায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিটু, ফয়েজ ও সুমী র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। এরপর জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার জালিয়াতি শুরু করেন।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চক্রটি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারণা করছিল। এই চক্রের হোতা ধরা পড়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সিআইডির এসআই কামাল হোসেন জানান, ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়োগের নামে জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মতিঝিল থানায় দুটি মামলা করে। ওই মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর সিআইডি সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ওয়েবসাইটচক্রটি শনাক্ত করে। গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর রায়েরবাজার থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলী মিঠুনকে গ্রেপ্তার করার পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দেখা যায়, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইটের গভ-এর স্থানে ইনফো দিয়ে, অর্থাৎ ‘সোনালী ব্যাংক ইনফো ডটকম’ নামে সাইট তৈরি করেন মিঠুন। একইভাবে ইনফো যোগ করে অগ্রণী, রূপালী, জনতা ও পুবালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটও বানান তিনি। আর বাংলাদেশ আর্মির স্থানে ‘বিডি আর্মি’ লিখেও একটি ভুয়া সাইট বানানো হয়। এসব সাইটে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে প্রতারণা করা হতো। ওই তালিকা দেখেই টিটু ও তাঁর সহযোগীদের হাতে তিন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলে দিয়েছেন অনেকে।
কামাল হোসেন আরো জানান, মিঠুনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রায়েরবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টিটুকে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন টিটু। এসআই কামাল বলেন, ‘মূল হোতা টিটু একই অনলাইন টিভি চালু করে সাংবাদিক পরিচয়ে এসব প্রতারণা করছিলেন। এখন পর্যন্ত চারটি মামলা পাওয়া গেছে। প্রতারিতরা অনেকেই হয়তো তার হদিস পায়নি। জানাজানি হলে আরো অভিযোগ পাওয়া যাবে।’ সিআইডি সূত্রে জানা যায়, টিটু তাঁর জবানবন্দিতে দাবি করেছেন, এক বছর ধরে তিনি প্রতারণা করছেন। অল্প পুঁজি ব্যবহার করে দ্রুত কোটিপতি হওয়ার জন্যই ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়োগের নামে প্রতারণা শুরু করেন টিটু। তিনি ওয়েবসাইট খুলে ‘এলটিভি’ নামে একটি অনলাইন টেলিভিশনও চালু করেন। ফয়েজ ও সুমীকে নিয়ে তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। সেখানে বিভিন্ন কাজে আসা বেকার তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে তাঁরা সাংবাদিক পরিচয়ে সখ্য গড়ে তোলেন। এরপর চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেন। তাঁরা ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার পর যোগদানের আগের দিন পর্যন্ত কোনো একসময় চাকরিপ্রার্থীকে ফোন করে জানাতেন যে তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি ঘটনায় তাঁরা কাজটি করতে ভুলে যান। সে কারণেই ধরা পড়ে যান।
জানা যায়, টিটুর জন্ম হাজারীবাগ এলাকায়। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাতরশিয়ায়। টিটুর দুই স্ত্রী, দুই ভাই ও মা রয়েছেন। তাঁরা রায়েরবাজারের শেরেবাংলা রোডের ৭/সি মাকামে ইব্রাহীম এলাকায় থাকেন। তবে প্রতারণায় জড়ানোর পরই টিটু ভাসমান জীবন যাপন শুরু করেন।
সূত্র মতে, টিটু ও তাঁর সহযোগীরা বিলাসী জীবন যাপন করেন। ধরা পড়ার আশঙ্কায় তিন মাস পর পর বাসা পরিবর্তন করেন। সিআইডি তদন্তে নেমে টিটুর ছয়টি বাসার ঠিকানা পায়। ভুয়া মালিক সেজে একটি ফ্ল্যাট বিক্রির চেষ্টাও করেন টিটু।
জানা গেছে, আসমা আক্তার নামে এক নারীকে অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ছয় লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলা হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি টিটু, ফয়েজ ও সুমীকে গ্রেপ্তারও করেছিল র্যাব।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3a643ae5-f3e8-4905-93da-7f9f1d968964 | মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিবির এলাকা কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার থেকে নব্য জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নব্য জেএমবির (জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) সদস্যের নাম মো. শরফুল আউয়াল (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর (মুন্সিবাড়ী) গ্রামের মো. জামশেদ চৌধুরীর ছেলে।
উল্লেখ্য, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আউয়ালের বিরুদ্ধে এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে চারটি মামলা করা হয়েছে।
র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, জেএমবি সদস্য শরফুল আউয়াল গত জানুয়ারি মাসে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার জঙ্গি তত্পরতায় সম্পৃক্ত হন। সর্বশেষ তিনি উখিয়ার কোটবাজার স্টেশনে অবস্থান নিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং এ দেশীয় সমমনা জঙ্গিদের একত্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার কাজে লিপ্ত ছিলেন।
মেজর রুহুল আমিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আউয়াল প্রাথমিকভাবে তাঁর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে জঙ্গিবাদবিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি যে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করছিলেন—তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর সন্দেহ, রোহিঙ্গা শিবিরকেন্দ্রিক জঙ্গি কার্যক্রম জোরদার করার জন্যই নব্য জেএমবির সদস্য শরফুল আউয়াল গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন কোটবাজারে অবস্থান নেন। তবে র্যাব কর্তৃপক্ষ এসংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাতে অনীহা প্রকাশ করেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ede5cf3d-9c2a-4327-9816-85df5a6bea5c | অপরাধ দমনে সাহসিকতা, সেবা ও কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ১৮২ জন পুলিশ সদস্যকে বিশেষ পদক দেওয়া হচ্ছে। ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮’-তে ওই পুলিশ সদস্যদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে। ‘জঙ্গি ও মাদক প্রতিকার, পুলিশ সপ্তাহের অঙ্গীকার’ এই স্লোগানে আগামী ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান।
এবার ৩০ জনকে বিপিএম সাহসিকতা, ২৮ জনকে বিপিএম সেবা, ৭১ জনকে পিপিএম সাহসিকতা এবং ৫৩ জনকে পিপিএম সেবা পদক দেওয়া হবে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছর বিপিএম ও পিপিএম পেয়েছিলেন ১৩২ পুলিশ সদস্য। এর আগের বছর পেয়েছিলেন ১০২ জন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০৬ জন পদক পাচ্ছেন জঙ্গি দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য। গত ২৪ মার্চ সিলেটের আতিয়া মহলে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত র্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়সর ও পরিদর্শক মনিরুল ইসলামকে দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম, সাহসিকতা)। তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলার তদন্তে বিশেষ ভূমিকার জন্য তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, যারা বিপিএম ও পিপিএম পাচ্ছেন এরই মধ্যে তাঁদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তাঁদেরকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বিশেষ প্যারেডের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন। আগের পুলিশ সপ্তাহগুলোতে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও রাষ্ট্রপতি কখনো থাকেননি। এবার কয়েকজন পুলিশ সদস্য সিনিয়র মন্ত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন। এ ধরনের উদ্যোগ আগে ছিল না।
সূত্র আরো বলছে, স্বাধীনতার পর এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক পদক পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। এবারই প্রথম যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্তের জন্য দুজন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার, একজন উপপরিদর্শক এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার কাজে ভূমিকা রাখার জন্য একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে পদক দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেকের অবদানকে মূল্যায়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এবার কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত পাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ পুরস্কার।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র আরো জানায়, পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিন ৮ জানুয়ারি সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের প্যারেডে সালাম গ্রহণ করবেন। ওই অনুষ্ঠানেই পুলিশ সদস্যদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমবারের মতো পুলিশ সপ্তাহে থাকার সম্মতি দিয়েছেন। প্রথম দিন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন।
সূত্র আরো জানায়, অন্য বছর পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে ফিরে যান। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের মতবিনিময়ের সুযোগ থাকে না। তবে এবার ৯ জানুয়ারি পুলিশের কনভেনশন হলে অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ পাঁচ থেকে ছয়জন সিনিয়র মন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক মতবিনিময় করবেন।
আর ১০ জানুয়ারি পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে। এদিন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আইজিস ব্যাজ বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন ইউনিটের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপি মতবিনিময় করবেন।
১১ জানুয়ারি আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিন ১২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন অফিসার মেস ও পুলিশ অফিসার বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আইজিপি।
জানতে চাইলে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশ সপ্তাহ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার সবার উপস্থিতিতে একটি কার্যকর পুলিশ সপ্তাহ পালিত হবে।’
যারা বিপিএম (সেবা, সাহসিকতা) পাচ্ছেন : সিলেটের আতিয়া মহলে নিহত র্যাবের লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পরিদর্শক আবু কয়সর ও পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ছাড়াও পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—সিআইডির প্রধান হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি (এটিইউ) শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত কমিশনার ডিএমপি), লে. কর্নেল মাহ্বুব হাসান (র্যাব, পরিচালক অপারেশন), লে. কর্নেল মাহবুব আলম (র্যাব, পরিচালক গোয়েন্দা), ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান (অপারেশন), দিদার আহম্মদ (খুলনা ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (অধিনায়ক র্যাব-১২), মো. হাবিবুর রহমান (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট), মো. মনিরুজ্জামান (ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স), উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান (সিটিটিসি), অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল মান্নান, (সিটি) নাজমুল হক, নাজমুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ মিয়া প্রমুখ।
যারা পিপিএম (সাহসিকতা) পাচ্ছেন : ডিআইজি শফিকুল ইসলাম (ডিআইজি বরিশাল), সিআইডি এসএস রেজাউল হায়দার, এসএস পলিটিক্যাল এসবি এজাজ আহমেদ, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার (সিটি), এসপি টাঙ্গাইল মাহাবুব আলম ও এসপি হবিগঞ্জ বিধান ত্রিপুরা, জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (র্যাব-১১) আলেপ উদ্দিন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
f672f2bc-8565-4008-87cc-4804ae19066e | তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘তেঁতুল হুজুর-রাজাকার-জঙ্গি সন্ত্রাসী-সাম্প্রদায়িক চতুষ্টয় দুষ্টচক্র পেরিয়ে বাঙালিয়ানা চর্চা করুন।’ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ছায়ানীড় সাংস্কৃতিক দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেক্যুলারিজম আর সাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র আর সামরিক শাসন বা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দোল খাওয়া বা মাঝখান দিয়ে হাঁটার দ্বৈততা বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র, সামরিকতন্ত্র আর ধর্মতন্ত্রের একটু করে নিয়ে খিচুড়িতন্ত্রের পথ পরিহার করতে হবে।’ তিনি বলেন, যে টেকসই উন্নয়নের কাজ শেখ হাসিনা করছেন, তার জন্য টেকসই গণতন্ত্র আর টেকসই রাজনীতি দরকার। আর এর জন্যই সব দ্বৈততা থেকে মুক্ত হয়ে দেশকে তার নিজস্ব পথে এগিয়ে নিতে হবে।
শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা দেশের আত্মার মতো উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি বলেন, ‘তারাই দেশকে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, কূপমণ্ডূকতা, লিংগবৈষম্য থেকে মুক্ত করার অগ্রপথিক আর আমরাও জয়ে-পরাজয়ে, ভালোবাসা-বেদনায়, সুখে-দুখে, যুদ্ধে কিংবা শান্তিতে ছুটে যাই কবিতা, গান, লেখা আর শিল্পের কাছেই। আর তেঁতুল হুজুর-রাজাকার-জংঙ্গি সন্ত্রাসী-সাম্প্রদায়িক চতুষ্টয় দুষ্টচক্রের হাত থেকে শিল্প-সাহিত্যকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনার সরকারকেই আবার নির্বাচিত করতে হবে, চক্রের পৃষ্ঠপোষক খালেদা জিয়া-বিএনপিকে নয়।’ মন্ত্রী এ সময় সবাইকে বিজয়ের মাসের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
অর্থনীতিবিদ ড. এম এ ইউসুফ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। জাতি গঠনে শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন তিনি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী, ছায়ানীড়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুস সবুর মিয়া ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিসের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী সভায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বিলকিস খানম পাপড়ি সম্পাদিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য বাঙালি ও প্রতিষ্ঠান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং ২২ জন লেখককে সংবর্ধনা দেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
1bc90393-4c70-46a5-a9c2-073b52688acf | গোপালগঞ্জে নতুন বই হাতে যমজ পাঁচ ভাই-বোন। ছবি : কালের কণ্ঠ
বছরের প্রথম দিন দেশজুড়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু। এদিন নতুন বই হাতে নিয়ে ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরে। পাঠ্যপুস্তক উৎসবের এই আনন্দঘন পরিবেশ অন্য রকম মাত্রা পেয়ে যায় গোপালগঞ্জে। গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৮১ নম্বর করপাড়া মধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। মা-বাবার হাত ধরে গতকাল দুপুরে ওই স্কুলে হাজির হয় পাঁচ ভাই-বোন। রুবাইয়া খান হীরা, রুশরা খান মনি, রামিসা খান মুক্তা, রাইসা খান মালা ও মাহির গফ্ফার মানিক। একই দিনে জন্ম নেওয়া এই পাঁচ ভাই-বোন ওই স্কুলের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে পাঠ্যপুস্তক উৎসবটি ভিন্নমাত্রা পেয়ে যায়।
একই দিনে জন্ম নেওয়া পাঁচ ভাই-বোনের স্কুলে ভর্তি হতে আসার খবর পেয়ে এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের দেখতে ছুটে আসে। স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ওই শিশুদের পরম স্নেহে বরণ করে নেয়। পরে তাদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েই শুরু হয় ওই স্কুলের বই বিতরণ উৎসব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার রায়, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান টিটো, শিশুদের বাবা করপাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার গফ্ফর খান, মা সোমাইয়া খানম এবং অন্য অভিভাবকরা।
ভর্তি হওয়ার পর পাঁচ শিশু জানায়, লেখাপড়া শেষ করে ভবিষ্যতে তারা পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে চায়।
শিশুদের মা সোমাইয়া খানম সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ভবিষ্যতে তাঁর সন্তানরা মানুষ হয়ে দেশের উপকারে এলে তিনি খুশি হবেন।
বাবা গফ্ফর খান জানান, পাঁচ সন্তানকে একসঙ্গে স্কুলে ভর্তি করতে পেরে তিনি ভীষণ আনন্দিত। তাঁর সন্তানরা পড়ালেখা শেষ করে যাতে সমাজের সেবায় আত্মনিয়োগ করে এ জন্য তিনি সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।
বনগ্রামের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এস এম নজরুল ইসলামও এসেছিলেন ওই পাঁচ শিশুকে দেখতে। তিনি জানান, জন্ম নেয়ার পর ওই পাঁচ শিশুকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ওই শিশুরা এখন স্কুলে লেখাপড়া করতে এসেছে, এটা ভারি আনন্দের। ওই পাঁচ শিশুর প্রতি বিশেষ নজর রাখতে শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার রায় বলেন, এই পাঁচ শিশু তাঁর স্কুলে ভর্তি হওয়ায় তিনি অনেক খুশি। পাঁচ শিশুর লেখাপড়ার প্রতি বিশেষ যত্ন নেবেন বলেও জানান তিনি।
২০১২ সালের ২১ জুলাই এই পাঁচ শিশু জন্মগ্রহণ করে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9d156920-00e7-412e-bbce-0beb5d2769d4 | শিক্ষার জন্য বয়স কোনো বিষয় নয়—এই সত্য ফের প্রতিষ্ঠিত করলেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ১১ জন বৃদ্ধ। ইউনিফর্ম পরে, নিয়ম মেনে স্কুলে যাচ্ছেন তাঁরা। নাতি-নাতনির বয়সী শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রহণ করছেন প্রাথমিক শিক্ষা। চোখ থাকতে অন্ধ এবং টিপসই দিতে চান না বলেই শেষ বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার নতুন বই নিতে তাঁদের ছয়জন যোগ দিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক উৎসবে।
এই ১১ শিক্ষার্থী হলেন—নবাবগঞ্জ উপজেলার আমবাগান এলাকার বাদশা মিয়া (৫১), বদিয়াজ্জামান (৬৩) ও আসাদ মিয়া (৪৭), মাহমুদপুর গ্রামের হারুনুর রশিদ (৫৬), ইলিয়াস মিয়া (৭১) ও সিদ্দিক মিয়া (৬৬), মেম্বারপাড়া এলাকার শাহিনুর আলম (৪৭) ও আব্দুল লতিফ (৪৯), সোনারপাড়া এলাকার লাল মিয়া (৪৭), মগোরপাড়া গ্রামের বজলুর রশিদ (৫৪) ও আব্দুর রাজ্জাক (৬০)।
এর মধ্যে সিদ্দিক মিয়া, বজলুর রশিদ, শাহিনুর আলম, আব্দুল লতিফ, বাদশা মিয়া ও বদিয়াজ্জামান পাস করে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছেন।
গতকাল সকালে নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউনিয়নে মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নতুন বই নিচ্ছেন ওই ছয়জন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা। স্কুলের নিয়ম মেনে গত এক বছর ক্লাস করছেন। শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন শরীরচর্চাসহ বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে। গলা ছেড়ে শিশুদের সঙ্গে গেয়েছেন জাতীয় সংগীত।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে তাঁরা বলেন, ‘পাস করা এবং নতুন ক্লাসের বই পাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। মনে হচ্ছে, আবার যেন শিশু বয়সে ফিরে গেছি। শিক্ষকরা অনেক যত্ন করে আমাদের পড়ালেখা করান। আমরা এই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা আমাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই।’
৬২ বছর বয়সী বদিয়াজ্জামান জানান, খুব সকালে তাঁর স্ত্রী খাবার তৈরি করেন আর নাতি তাঁকে স্কুলে যেতে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তাঁর নাতিও ওই স্কুলে লেখাপড়া করে। ভাত খেয়েই নাতিকে নিয়ে চলে যান স্কুলে। এই বয়সে স্কুলে যেতে পেরে তিনি খুব খুশি। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরাও খুশি।
হারুনুর রশিদ জানান, অসচ্ছল পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছোটবেলায় লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সাক্ষরজ্ঞান অর্জন করতেই এই বয়সে তাঁরা স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। বিষয়টি এলাকার মানুষ ভালোভাবে নিয়ে তাঁদের উৎসাহ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, অনেকে তাঁদের সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথমে দুজন বৃদ্ধ তাঁর সঙ্গে কথা বলে স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা জানান। জানুয়ারি মাসে তিনি তাঁদের ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে গত বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন একসঙ্গে সাতজন ভর্তি হন। এর তিন দিন পর ভর্তি হন আরো চারজন। এই শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসছেন এবং তাঁদের শেখার আগ্রহ প্রবল।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেনাজুল হায়দার জানান, বয়স বেশি হওয়ায় ভর্তি নেওয়া যাবে কি না এ নিয়ে প্রথমে সমস্যা হয়। পরে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি জানান, ছয় বছরের বেশি বয়সীদের ভর্তির নিয়ম আছে। বয়স বেশি হলেও ভর্তিতে বাধা নেই। তখন ওই বৃদ্ধদের ভর্তি করে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছেন। বাকি পাঁচজন আবারও প্রথম শ্রেণিতে থাকতে চান বলে পরীক্ষায় অংশ নেননি। তবে তাঁরা নিয়মিত স্কুলে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘নিরক্ষরতা দূর করতে বয়স্করা স্কুলে আসছেন, এটি অনেক আশাব্যঞ্জক। আমরা তাঁদের সফলতা কামনা করছি।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8bcb2ef7-a6fa-4728-8506-63a3ed76fce1 | রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে হামলার উদ্দেশ্যে বোমা প্রস্তুতকারী নব্য জেএমবির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মামুন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে কাজ করা লফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি) ও বগুড়া জেলা পুলিশ রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের হাউস বিল্ডিং এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, মামুনের তৈরি করা বোমা জাতীয় শোকযাত্রায় বিস্ফোরণ ঘটাতে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নেয় জঙ্গি সাইফুল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খবর পেয়ে গত বছরের ১৫ আগস্ট কর্মসূচি চলার মধ্যেই ওই হোটেলে অভিযান চালায়। ওই সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় সাইফুল এবং সে নিহত হয়।
পুলিশ আরো বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বোমা প্রস্তুতকারী মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে হামলাচেষ্টার পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, মামুন নব্য জেএমবির (জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) শীর্ষস্থানীয় নেতা ও শুরা সদস্য। সে জঙ্গি সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ, বিস্ফোরক তৈরি, প্রশিক্ষণ দেওয়া ও নাশকতামূলক হামলা পরিকল্পনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলার মধ্যেই পাশে পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গি সাইফুল। সেই বোমাটি মামুন তৈরি করেছে এবং হোটেলে আত্মঘাতী সাইফুলের কাছে বোমাটি নিজে গিয়েই দিয়ে আসে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে। ঢাকায় আবারও বড় ধরনের নাশকতামূলক হামলার উদ্দেশ্যে মামুন উত্তরায় অবস্থান করছিল।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আবদুল মান্নান বলেন, এই ঘটনায় গুলশান থেকে সম্প্রতি প্রকাশক তানভীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকেও মামুনের ব্যাপারে বিশদ তথ্য পাওয়া গেছে। তা ছাড়া আকরাম নামের এক জঙ্গি পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। তবে তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এডিসি মান্নান আরো বলেন, মামুন নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা। সে বোমা তৈরিতে খুবই দক্ষ। নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য নব্য জেএমবির আরেক শীর্ষ নেতা মাহফুজের কাছ থেকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে। এরপর থেকে সে নিজেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় বোমা তৈরি করত। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে, সে আবীর ওরফে মুয়াজ নামের এক জঙ্গির মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
663afd30-db2f-46a9-9f84-62bba095c214 | সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কাউকে মানসিক রোগী সাজানো হলে অপরাধীর শাস্তির বিধান রেখে ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৭’-এর খসড়া করা হয়েছে। খসড়ায় মানসিক রোগী সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম হলে তার সম্পত্তি তদারকির জন্য সরকার ব্যবস্থাপক নিয়োগ করতে পারবে। প্রতি জেলায় মানসিক স্বাস্থ্য আদালত স্থাপনের বিধানও রয়েছে। খসড়াটি আজ বুধবার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ মানসিক রোগী। আর ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে মানসিক রোগীর সংখ্যা ১৮ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ শিশুরাই বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
খসড়ায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অভিভাবক সন্তুষ্ট না হলে প্রতিকারের জন্য এই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবে। ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে। কমিটির আদেশ পছন্দ না হলে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক আদালতে আপিল করা যাবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকদের এই কমিটির প্রধান করার প্রস্তাবে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যসেবা-সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, জেলাপর্যায়ে ডিসি অসংখ্য কমিটির প্রধান। তাঁর পক্ষে অনেক সময় এসব কমিটির বৈঠকই নিয়মিত করা সম্ভব হয় না। ডিসিদের নেতৃত্বে এ ধরনের কমিটি হলে সেটিও প্রয়োজনমাফিক কাজ করতে পারবে না। বরং এই কমিটির প্রধান হওয়া উচিত জেলা সিভিল সার্জনের। অথচ কমিটিতে সিভিল সার্জনের অংশগ্রহণ ঐচ্ছিক। তিনি ইচ্ছা করলে এই কমিটির সদস্যসচিব হতে পারবেন। আবার এই বিষয়সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো চিকিৎসককেও এ পদে মনোনীত করতে পারবেন। তবে ডিসিকে প্রধান করায় সিভিল সার্জনরা নিজে কমিটির সদস্যসচিব না হয়ে অন্য চিকিৎসককেই মনোনীত করবেন এটা ধরে নেওয়া যায়।
অনেক সময় পারিবারিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে জোর করে পরিবারের সদস্যদের মানসিক রোগী সাজানো হয়। খসড়ায় এর প্রতিকারের বিধান রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম হলে আদালত একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপক নিয়োগ করতে পারবেন। এই ব্যবস্থাপকের মেয়াদ হবে তিন বছর। ব্যবস্থাপক দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে অসুস্থ ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা করবেন। তিনি মানসিক রোগীর পক্ষে তাঁর সম্পত্তি গ্রহণ, ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও অংশীদারি কারবারের অবসান ঘটাবেন। তবে ব্যবস্থাপক আদালতের অনুমতি ছাড়া রোগীর সম্পত্তি বিক্রি বা ভাড়া দিতে পারবেন না। পাঁচ বছরের বেশি সময়ের জন্য কোনো সম্পত্তি লিজও দিতে পারবেন না। ব্যবস্থাপক রোগীর চিকিৎসা ব্যয় ছাড়া তাঁর সম্পত্তির অবশিষ্ট অর্থ সরকারি হিসাবে জমা করবেন। অভিভাবক ও ব্যবস্থাপক আদালত নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক পাবেন। আদালত ইচ্ছা করলে রোগীর ব্যবস্থাপকের মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় রোগীর মানসিক অবস্থা তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করবেন।
প্রতিটি জেলায় জেলা জজের অধীন মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক আদালত প্রতিষ্ঠা করতে পারবে সরকার। আইনের অধীন অপরাধ আমলযোগ্য ও আপস অযোগ্য। তবে অপরাধগুলোকে জামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া মানসিক হাসপাতাল পরিচালনা করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে জরিমানা ও অর্থদণ্ড দুই-ই বাড়বে। মানসিক রোগীকে দিয়ে অপরাধ করালে প্ররোচনাকারী ব্যক্তির পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে। পরিবারের সদস্যরা রোগীর সম্পত্তি চিহ্নিত করতে অসহযোগিতা করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইতিমধ্যে স্থাপিত সব বেসরকারি হাসপাতালকে আইন করার ৯০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অভিভাবক বা আত্মীয়দের আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভর্তির সিদ্ধান্ত দেবেন। স্বেচ্ছায় ভর্তিকৃত রোগী চিকিৎসা প্রত্যাখ্যানের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। তবে অনিচ্ছাকৃত ভর্তির ক্ষেত্রে রোগী চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না।
চিকিৎসা নিতে অনিচ্ছাকৃত রোগী ভর্তির প্রক্রিয়াও খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোগীর আত্মীয় বা অভিভাবক স্থানীয় পুলিশ বা মেডিক্যাল অফিসারের কাছে আবেদন করবেন। মেডিক্যাল অফিসারের সুপারিশে ৭২ ঘণ্টার জন্য রোগী ভর্তি হতে পারবে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সুপারিশ থাকলে ২৮ দিন চিকিৎসা দেওয়া যাবে। মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটির সুপারিশে ৬০ দিনের জন্য ভর্তি করা হবে। রিভিউ কমিটি সুপারিশ করলে প্রয়োজনে রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার সময় বাড়তে পারে।
আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে মানসিক স্বাস্থ্য আইন ছাড়াও মন্ত্রীদের বিদেশে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ ও চুক্তি স্বাক্ষর-সংক্রান্ত বিষয়ে ১২টি অবহিতকরণের বিষয় রয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
33a34094-4e9a-42ff-89cb-46c8aaca2e75 | আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম এবং তাঁর দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের একটি করে মামলায় হাইকোর্টের জামিনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বেড়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওই তারিখে পরবর্তী শুনানি হবে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আপন জুয়েলার্সের তিন ভাইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন।
হাইকোর্ট গত ১৪ ডিসেম্বর তিন ভাইকে পৃথক তিনটি মামলায় জামিন দেন। এ ছাড়া দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলায় (উত্তরা ও ধানমণ্ডি থানায় করা মামলা) আদেশ প্রদান এক মাসের জন্য মুলতবি রাখতে বলেন। এ অবস্থায় জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ১৮ ডিসেম্বর এক আদেশে জামিন স্থগিত করেন।
হাইকোর্ট গত ২২ নভেম্বর তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরা ও রমনা থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা পৃথক পাঁচটি মামলায় কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দিলদার হোসেনকে রমনা থানায় এবং অন্য দুই ভাইকে গুলশান থানার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে উত্তরা ও ধানমণ্ডি থানার মামলায় আদেশ প্রদান মুলতবি রাখতে বলা হয়।
রেইনট্রি হোটেলে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়। পরে ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু ইনম শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করার পর তা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এরপর দিলদার আহমেদ সেলিম এবং তাঁর দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনজনকেই চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর তাঁদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ থাকলেও তাঁরা হাজিরা দেননি। এ কারণে ২৩ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরদিন ২৪ অক্টোবর তাঁরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। কিন্তু আদালত তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তাঁরা কারাবন্দি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a5eb3d69-1c31-4ab0-a624-6606e590b90a | চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জেলার ৬৭ উপজেলায় জেগে ওঠা চরে বনায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন’ শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার হেক্টর এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হবে। সভায় শরীয়তপুরের ভাঙনকবলিত জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষায় অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, একনেকে ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২২১ কোটি। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৪৬৩ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩ কোটি টাকা খরচ হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনাসচিব জিয়াউল ইসলাম, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মফিজুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বিদ্যুতের প্রি-পেমেন্ট মিটারিংসংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় দেশেই প্রি-পেইড মিটার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে বিদেশ থেকে প্রি-পেইড আমদানি করতে না হয়। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরের জেগে ওঠা নতুন চরে বনায়নের সময় অন্যান্য গাছের সঙ্গে নিম, বিভিন্ন ফলের গাছ এবং বটগাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে পাখির খাদ্যের জোগান সৃষ্টি হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নদীগুলো যদি ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয় তাহলে অর্থনৈতিক কাজে লাগবে। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি।’ মন্ত্রী জানান, ডিপিডিসির বিদ্যুৎ বিতরণসংক্রান্ত একটি অনুমোদিত প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, যেখানে মাটির নিচে লাইন নেওয়ার সুযোগ আছে সেখানে মাটির নিচেই নিতে হবে। আর যেখানে বাড়ি আছে বা মাটির নিচে নেওয়া সম্ভব নয়, সেখানে মাটির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিতে হবে।
সভায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৫৭ কোটি টাকা এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দেবে ৬২০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য উদ্ধার সরঞ্জামাদি কেনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি মোটরযান, ১৫টি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট, রেডিও ও ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ও কার্যকরী পুনর্বাসন কাজের স্বার্থে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতুসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
সভায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ (এসআরএসআরএফ) শিরোনামের আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সম্প্রতি দেশের কিছু কিছু এলাকায় লবণাক্ততার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন, ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ, ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকো পার্ক (দ্বিতীয় পর্যায়), ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বাড়ানো, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের পারকি ও পতেঙ্গায় পর্যটন সুবিধা বাড়ানো এবং ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির এলাকার জন্য স্মার্ট-প্রি পেমেন্ট মিটারিং প্রকল্প।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
585358c5-133e-43ae-b0bb-811fda158ec0 | বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হয়নি। শুনানির জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অন্যতম দুই আসামি আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হকের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন বিচারাধীন থাকায় চার্জ শুনানি মুলতবি রেখে পরবর্তী দিন ধার্য করতে সময় চেয়ে আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা।
এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ারের মৃত্যুসংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদনও মামলার নথিতে যুক্ত করা হয়নি।
গতকাল ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম চার্জ গঠনের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৩ জন। জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে। সম্প্রতি আরেক আসামি এম কে আনোয়ার মারা যান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন ও তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
39aeee01-e4de-4bd5-a508-dd52cff54124 | সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পাথর উত্তোলনের সময় গর্তের মাটি ধসে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন এক নারীসহ চার শ্রমিক। আহত হয়েছেন আরো তিনজন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাফলংয়ের মন্দিরের জুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই গর্তে এর আগেও মাটিধসে এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন।
গতকাল নিহতদের মধ্যে একজনের নাম নূর মিয়া (৫০)। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামের মফিজ উল্লাহর ছেলে। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাকিদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন সাদেক মিয়া, হেলাল মিয়া ও মিজানুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাফলংয়ের মন্দিরের জুম এলাকায় পাথর উত্তোলনকারী একটি চক্র অবৈধ পন্থায় পাথর তুলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে পাথর উত্তোলনের সময় হঠাৎ গর্তের মাটি ধসে চাপা পড়েন সাতজন। ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ চার শ্রমিক মারা যান।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
98c13a32-5b9b-4507-b4b9-c2128d1bd6b5 | রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন এলাকা হাতিরঝিলকেন্দ্রিক নবগঠিত থানার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও যানবাহন বরাদ্দ হয়ে গেছে। হাতিরঝিল থানার ঠিকানা হিসেবে এখন যুতসই একটি বাড়ি খোঁজা হচ্ছে। বাড়ি পেয়ে গেলেই শুরু হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০তম এই থানার কার্যক্রম।
পুলিশ সূত্র জানায়, হাতিরঝিল এলাকাটি বাড্ডা, গুলশান, রমনা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও রামপুরা থানার মধ্যে পড়েছে। ফলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই এলাকাসংক্রান্ত ঝামেলার সৃষ্টি হয়। ফলে হাতিরঝিলকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন থানার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
হাতিরঝিল থানায় দায়িত্ব পালনের জন্য এরই মধ্যে ৭১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), দুজন ইন্সপেক্টর, ১২ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ২০ জন সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর ও ৩৪ জন কনস্টেবল। এ ছাড়া বাবুর্চি ও সুইপারের পদ রয়েছে একটি করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে। তাতে হাতিরঝিল থানার জন্য ৭১টি পদ সৃজন ও ১০টি যানবাহন মঞ্জুরের কথা বলা হয়েছে। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে দুটি পিকআপ ও আটটি মোটরসাইকেল।
গত ২০ নভেম্বর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় হাতিরঝিল থানার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। বর্তমানে ডিএমপিতে থানা রয়েছে ৪৯টি। হাতিরঝিল হবে ৫০তম থানা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হাতিরঝিল থানা অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন ভাড়ায় বাড়ি খোঁজা হচ্ছে। বাড়ি পেয়ে গেলেই থানার কার্যক্রম শুরু হবে। সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে।’
হাতিরঝিল প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে ৩০২ একর জমির ওপর। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণে এক হাজার ৪৮ কোটি ও বাকি টাকা নির্মাণকাজে ব্যয় হয়। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্প সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় চারটি সেতু, চারটি উড়াল সেতু, প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক, ২৬০ মিটার ভায়াডাক্ট (সেতুপথ) এবং প্রায় ১২ কিলোমিটার হাঁটার পথ রয়েছে।
২০০৭ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই প্রকল্প হাতে নেয়। রাজউকের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন এটি বাস্তবায়ন করে। যানজট নিরসনে সহায়তার পাশাপাশি হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকা নগরবাসীর জন্য অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।
এদিকে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অপরাধ তৎপরতাও দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন পর পরই এখানে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। লাশ উদ্ধারের ঘটনাও আছে। বেপরোয়া গাড়ি চালনার কারণে এখানে সড়ক দুর্ঘটনার হারও নগরীর অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। গভীর রাতে বিশেষত সেতুগুলোর ওপর উচ্ছৃঙ্খল ছেলে-মেয়েদের মাদক সেবনসহ নানা অপরাধের খবরও রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আবদুর রশীদ কালের কণ্ঠকে জানান, পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছে, বিশেষত মধ্যরাতের দিকে হাতিরঝিলে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনাই বেশি হচ্ছে। নতুন থানা হলে পুলিশের পক্ষে নানা ধরনের অপরাধ ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d8e5d1fe-43df-4809-b6b2-1ca973877946 | কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলেও কোনো দুর্ঘটনার জন্য তাদের শাস্তি হয় না। এমনকি ন্যায্য ক্ষতিপূরণও পায় না নিহত ও আহত শ্রমিকের স্বজনরা। অন্যদিকে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বলে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংগঠনের সহায়তা আনা হলেও সেই অর্থ শ্রমিকের নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয় না। বরং ব্যবসাকে নিরাপদ করা হয়।
গত এক বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ওপর চালানো জরিপের ফল প্রকাশের জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেছেন, আইনি দুর্বলতার কারণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না বলে প্রতিবছর কর্মস্থলে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বক্তারা বলেন, ক্ষতিপূরণ কিছুটা দেওয়া হলেও তা যেন অনেকটা ভিক্ষার চাল। এ দিয়ে কোনো রকম মিলাদ-মাহফিল পড়ানো যায়।
শ্রমবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেফটি অ্যান্ড রাইট সোসাইটি (এসআরএস) এই জরিপ চালিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এসআরএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ৪২৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। মোট ৩২১টি দুর্ঘটনায় এসব শ্রমিক মারা যায়। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ২৫৮টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মোট ৩৮২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিল। অর্থাৎ ২০১৬ সালের চেয়ে গত বছর ৪৪ জন বেশি মারা গেছে।
গত এক বছরে দেশে প্রকাশিত ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় ও ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে এসআরএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশি ১৪৪ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ সংখ্যা মোট নিহত শ্রমিকের প্রায় ৩৪ শতাংশ। এর পরেই পরিবহন খাতে ১০২ জন বা ২৪ শতাংশ। আর ৯৬ জন মারা যায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন—হোটেল, ওয়ার্কশপ, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি)। এ ছাড়া কলকারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে ৭৬ জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এ সময় আটজন কৃষি শ্রমিকও নিহত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি খুশী কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন প্রমুখ।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেফটি অ্যান্ড রাইটসের নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা। তিনি বলেন, নিহত শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি। কেননা অনেক দুর্ঘটনার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় না এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে মৃত্যুর বিষয়টিও সব ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয় না।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
931e98d9-a4df-4d10-b920-f6c85082d1da | রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার মামলাটি করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই আব্দুর বারেক। মামলায় সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই ফরিদ বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও জনপথে বাধা সৃষ্টি করে ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটক তিনজন হলেন শিক্ষার্থী ফজর আলী এবং এলাকাবাসী শফিকুল ও মোস্তফা কামাল।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ১৭ জন শিক্ষার্থী মঙ্গলবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়। চিকিৎসা শেষে ১৪ জন রাতে বাসায় চলে যায়। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন শিক্ষার্থী বাসুদেব, মাজহার ও নাদিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের হাত, পা ও পিঠে ছররা গুলি লেগেছে।
প্রাথমিক তদন্তে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বাধে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান শামীমের দাবি, নেতার সামনে দিয়ে রিকশায় চড়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিকশাযোগে পলিটেকনিকের সামনে দিয়ে বেগুনবাড়ীর বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী সেখানে দাঁড়িয়েছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন তাঁর গতিরোধ করে বলে—নেতারা দাঁড়িয়ে আছে, আর তুই রিকশা দিয়ে যাস! পরে তাঁকে রিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে। তারা এখানেই থেমে থাকেনি। পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মোল্লা এসে তাঁকে কানে ধরে ওঠবোস করান। পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলে। রাতে তিনি বিষয়টি এলাকার বড় ভাই ও তাঁর বন্ধুদের জানালে তারা প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে সাইফুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে তারা।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রসঙ্গত, এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
32cd0d91-c14f-47f2-be36-9b690f8d5fb5 | মিয়ানমার হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। আর হিন্দু রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে চায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ফিরে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানা গেছে। তবে তাদের শঙ্কা আছে রাখাইন রাজ্যে ফেলে আসা সম্পত্তি নিয়ে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই মুসলমান। হিন্দু রোহিঙ্গা হাতে গোনা কয়েকজন। মিয়ানমার ৪৫০ জন হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ দেখালেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশ চায় না, ধর্মীয় পরিচয়ে প্রত্যাবাসন শুরু হোক।
এদিকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের বাগানে নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ইতিমধ্যে ১০০টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছে। আগামী কদিনের মধ্যেই নতুন তৈরি করা ঘরগুলো হিন্দুদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।
টানা চার মাস শতাধিক হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে পশ্চিম হিন্দুপাড়ার একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারে দিন-রাত কাটিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কজন গোপনে রাখাইন রাজ্যে ফিরে গেছে। বর্তমানে যারা আছে তারাও ফিরতে উদগ্রীব।
জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগস্টের পরপরই রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিল ১৪৫ পরিবারের ৫৬০ জন হিন্দু রোহিঙ্গা। বর্তমানে কুতুপালং আশ্রয়কেন্দ্রে ১১০টি পরিবারের ৩৯৮ জন হিন্দু রোহিঙ্গা থাকলেও বাদ-বাকি হিন্দু রোহিঙ্গাদের তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে থাকা হিন্দু রোহিঙ্গারা জানায়, তাদের অনেকেই গোপনে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে গেছে।
ফিরে যেতে আগ্রহী হিন্দু রোহিঙ্গাদের জন্য এ দেশে নতুন করে ঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান বলেন, ‘এত দিন ধরে সুবিধামতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই তাদের জন্য বসতি নির্মাণে দেরি হয়।’
নিরঞ্জন রুদ্র (৫০) জানান, ‘আমরা এসেছি রাখাইনের চিকনছড়ি এলাকা থেকে। ওখানেই আমাদের বসতভিটা ও জায়গা-জমি রয়েছে। সেখানে আমাদের ফেলে আসা সহায়-সম্পদ ফেরত দিতে হবে।’ তিনি বলেন, তাঁরা (হিন্দু) সবাই স্বদেশে ফিরে যেতে অপেক্ষায় রয়েছেন। ডাক পেলেই যাবেন।
বিজয় রাম পাল (৩৫) জানান, ‘ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে আইওএম কেনইবা আমাদের নতুন করে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে তা জানি না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের কেবল আশ্রয় দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেনি। সেই সঙ্গে তাদের খাবার-দাবার থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তাও দিয়ে যাচ্ছে।
ভুবন পাল (২১) নামের হিন্দু রোহিঙ্গা বলেন, ‘স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যখনই মনস্থির করেছি তখনই মিয়ানমারের মংডু থেকে আমাদের হিন্দু নেতা নির্মল ধরের উদ্বেগজনক মোবাইল পেয়েছি। শুনেছি, মিয়ানমার সরকার আমাদের ফেলে আসা ভিটার বদলে মংডু শহরের দক্ষিণে চার মাইল নামক স্থানে পুনর্বাসন করবে।’
ভুবন পাল জানান, মিয়ানমার সরকারের এমন উদ্যোগে তাঁদের আপত্তি রয়েছে।
জগদিস শীলসহ আরো বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উখিয়া পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি, হিন্দু নেতা ও ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি বলেন, আশ্রয় নেওয়া হিন্দু রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী। তবে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান গত সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রত্যাবাসন বিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা তিনি পাননি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
1f0bd06b-b3fd-4292-8809-ac8a66543d33 | বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজন আসামির আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করছেন। ষষ্ঠ দিনের মতো গতকাল বুধবার জেরা করা হয়েছে।
গতকাল ধর্ষিত দুই শিক্ষার্থী ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। রুদ্ধদ্বার এজলাসে (ক্যামেরা ট্রায়াল) প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের পক্ষে বাদীকে জেরা করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছাড়া বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। অন্য কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদীকে জেরা করেন আসামির আইনজীবী। জেরা শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারক শফিউল আযম অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
সাফাতের পক্ষে বাদীকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট কাজী নজীব উল্যাহ হিরু। বাদীপক্ষে মহিলা সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকি এবং রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আকবর এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের আগে মামলার আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তাঁর বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ই-মেকার্সের কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিম, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর মালিক রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাফিক, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থী, যিনি মামলার বাদী তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত ১৩ জুলাই ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করা হয়। গত ১৯ জুন সাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং সাফাতের বন্ধু সাদমান সাফিক, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8fcba066-2806-4333-93ef-68f0f252780f | খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে। আর ওই সার বিক্রি করে পাওয়া অর্থে পরিচালিত হচ্ছে দুটি কারিগরি স্কুল। এভাবে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একদিকে পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে, অন্যদিকে কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে শত শত কিশোরী।
কেসিসির সহযোগিতায় রাসটিক কম্পোস্ট জৈব প্লান্ট এ কাজ করছে। উদ্যোক্তারা জানান, পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে এই প্লান্ট থেকে বছরে কমপক্ষে ১৫ হাজার টন বর্জ্য রিসাইক্লিং করা সম্ভব হবে।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনা শহরে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ হাজার টন গৃহস্থালির বর্জ্য জমা হয়। ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে নগরীর সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনগুলোতে (এসটিএস) রাখা হয়। সেখান থেকে গাড়িতে করে তা নিয়ে যাওয়া হয় বটিয়াঘাটা এলাকার রাজবাঁধ রাসটিক কম্পোস্ট জৈব প্লান্টে। এখানে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যগুলোকে পৃথক করা হয়। অপচনশীল বর্জ্য হার্ড গার্বেজ হিসেবে স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয়। আর পচনশীল বর্জ্য যায় সার উৎপাদন প্লান্টে। প্লান্টে গড়ে সাড়ে চার টন কাঁচামালের সঙ্গে প্রতিদিন ১০ শতাংশ গোবর, ১ শতাংশ করাত কলের কাঠের গুঁড়া সংমিশ্রণসহ মোট পাঁচ টন বানিয়ে বেড (পাইল) করা হয়। এরপর ৬৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৮ থেকে ১০ দিন পর ওই বেড ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সময়টাতে প্রতিটি বেড থেকে কমপক্ষে তিন কেজি পানি বের হয়, যা ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়। দুই দিন পর আবার বেড তৈরি করে ওই সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করা হয়। ১৪ দিন পর ৪০-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফের বেডটি ভেঙে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় এক দিন রেখে ফের বেড তৈরি করা হয়। ১০ দিন পর ১৫-২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আবারও বেড ভেঙে দেওয়া হয়। আবার এক দিন এ অবস্থায় রেখে নতুন বেড তৈরি করা হয়। এর ১০ দিন পর কম্পোস্ট জৈব সারে পরিণত হয়। এভাবে ৪২-৪৩ দিনে পচনশীল বর্জ্য পরিপূর্ণ কম্পোস্ট সারে পরিণত হয়।
রাসটিক সূত্র জানায়, প্লান্টে প্রতিদিন ১০-১২ টন আবর্জনা রিসাইক্লিং করে এক হাজার ২০০ কেজি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হয়। সে অনুযায়ী বছরে চার হাজার টন আবর্জনা রিসাইক্লিং করে ৩৬০ টন কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয়। বাণিজ্যিকভাবে এসব সার ২১ টাকা কেজি দরে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়।
রাসটিক কম্পোস্ট জৈব প্লান্টের নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নুর মোহাম্মদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিজমির জৈব গুণাগুণের মাত্রা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই জৈব সার ব্যবহারে জমির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে ৫-৭ শতাংশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান, পান ও নার্সারি এবং চিংড়িঘের প্রস্তুত করতে এই সার ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে।
নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রকল্পটি ব্যবসায়িক নয়, এখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নগরীর ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি কারিগরি স্কুল ও বর্জ্য শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই স্কুলে মেয়েদের সেলাই, হাতের কাজসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ওই সব কিশোরী আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অর্থ সহায়তা পেলে প্রকল্পটির কলেবর বাড়ানো সম্ভব হতো।
কেসিসির কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি অনেকের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে। এতে করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি ব্যতিক্রম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
68ba15b0-4979-499d-8751-9c54333340bc | গতকাল বাংলা একাডেমিতে মারুফুল ইসলামের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘নতুন করে পাব বলে’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতে ড. আহমদ শরীফকে উপেক্ষা করা যায়; তবে কোনো অবস্থায়ই তাঁর বিশাল কীর্তি অস্বীকার করা যায় না। তিনি সবার কাছে প্রিয় হওয়ার দুর্বলতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে ডক্টর আহমদ শরীফ স্মরণে আয়োজিত সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘরের উদ্যোগে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে ‘ডক্টর আহমদ শরীফ : মনীষা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহমদ কবির।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, দেশ-কাল-সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথাগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে সব সময় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তিসহ সমাজতন্ত্রের প্রতি ছিল তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, দর্শন, ইতিহাসসহ প্রায় সব বিষয়ে তিনি অজস্র লিখেছেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, ‘প্রতিবছর গড়ে দুটি করে ড. আহমদ শরীফের মৌলিক রচনা নিয়ে বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত বই শুধু অপঠিতই নয়, অগোচরেও থেকে গেছে।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
‘নতুন করে পাবো বলে’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব
কবি মারুফুল ইসলামের ‘নতুন করে পাবো বলে’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব গতকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিল্পী রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘তুমি হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন, তোমায় নতুন করে পাবো বলে’ রবীন্দ্রসংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম। শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় নতুন কাব্যগ্রন্থটি থেকে কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, কাব্যগ্রন্থটিতে বাংলার চিরন্তন রূপ যেমন আছে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সামরিক শাসনের কথাও আছে। এই বইয়ে ইতিহাসের ফাঁকে ফাঁকে ব্যক্তিগত অনুভূতিও স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিকতার সঙ্গে কবিতাকে যুক্ত করেছেন মারুফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও কবি তুষার দাস। অনুভূতি প্রকাশ ও কবিতা আবৃত্তি করেন লেখক মারুফুল ইসলাম। ‘নতুন করে পাবো বলে’ গ্রন্থটিতে ১০৮টি কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। বইটির দাম ২৮০ টাকা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
516ebc16-6ea2-4c53-bfc2-5e06ced3a353 | অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা নিয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবীর বিবৃতির প্রতিবাদ করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলা থেকে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ড. কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, অ্যাসোসিয়েশনের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে গতকাল রাতে জরুরি সভায় দুই শতাধিক বিচারক উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় বলা হয়, স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়নি। বর্তমানে এই শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ হয়েছে। সংবিধানসম্মত একটি বিধিমালা করার পর সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী বিবৃতি-সমালোচনা সংবিধান পরিপন্থী। এ ছাড়া ছয় আইনজীবী মাসদার হোসেন মামলা নিয়ে রাজনীতিকরণের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলেও বিচারকদের সভায় আলোচনা হয়।
বিচারকরা বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি বিবৃতিদাতা আইনজীবীরাও করেননি। ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ মন্ত্রী ও উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাঁরা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এখন শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কতৃক গৃহীত হওয়ার পর এ নিয়ে কোনো বিবৃতি বা নেতিবাচক মন্তব্য না করার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের দিন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল একটি যুক্ত বিবৃতি দেন। তাঁরা বলেন, এমন একটা সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে যখন এ দেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ অভিভাবক প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য।
সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত স্বাধীন ও পৃথক বিচার বিভাগের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে অধস্তন আদালতকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক্করণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন আশা করেন তাঁরা। এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও সর্বোচ্চ আদালতে রায়ের প্রতি সম্মান দেখাবেন বলেও তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8502820e-6047-4cfa-831a-d6115137fd50 | মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটসহ চলতি বছর বিশ্বজুড়ে আরো অন্তত ১০টি বড় সংকট প্রকট হয়ে উঠবে। সংঘাত মোকাবেলায় কাজ করা আন্তর্দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এমনটিই মনে করছে। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংকটগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি-ইরান দ্বন্দ্ব, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া, সাহেল, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইউক্রেন ও ভেনিজুয়েলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও রবার্ট ম্যালির মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকতর অন্তর্মুখী নীতি অব্যাহত থাকবে। এর প্রভাব পড়বে বিশ্ব ব্যবস্থায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ক্রমবর্ধমান হারে সামরিকীকরণ হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বোঝার একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক তার উল্টো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে বোঝা সরানোর চেষ্টা করছেন। ট্রাম্পের আমলে বহুপক্ষবাদও (মাল্টিলেটারালিজম) সংকটে পড়েছে।
চলতি বছরের এক নম্বর সংকট হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে স্থান দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে দেশটি অব্যাহত পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। আরো পরীক্ষা চালানোর হুমকি কোরীয় উপদ্বীপে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি-ইরান দ্বন্দ্বকে সংকটের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রাখা হয়েছে। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ব, ইরান ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের অধিকতর আগ্রাসী কৌশল এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণের অবসান হওয়ায় ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবকে আরো বেশি দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। বলে রাখা ভালো, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। ইরানকে দায়ী করা হয় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন ও রিয়াদ একযোগে তেহরানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাতে পারে।
সংকটগুলোর মধ্যে তৃতীয় শীর্ষ স্থান দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা সংকটকে। গত বছরের শেষ দিকে এ সংকট বিপজ্জনক নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে। সংকটটি মিয়ানমারের কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক অর্জন ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অঞ্চলের জন্যও সংকটটি হুমকি হয়ে উঠেছে। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ছয় লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জাতিসংঘ জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে অভিহিত করেছে। রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মজুরি কমে যাওয়ায় আশ্রিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার সঙ্গে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর বিরোধের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। ক্রাইসিস গ্রুপের আশঙ্কা, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে সাম্প্রদায়িক সংঘাত কিংবা রাজনৈতিক বিভেদ বাড়াতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে ব্যবহার করা হতে পারে। মিয়ানমারের জন্যও ঝুঁকি কম নয়। জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা আবারও সংঘটিত হতে পারে। সংকট স্বীকার করে আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নকেই সমাধানের পথ বলে মনে করে ক্রাইসিস গ্রুপ।
ইয়েমেনের ৮০ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশটিতে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ বাসিন্দা। ইয়েমেনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। চলতি বছর ইয়েমেনের যুদ্ধ আরো খারাপ রূপ নিতে পারে।
২০১৮ সালে আফগান যুদ্ধ আরো জোরালো হবে। যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন আফগাননীতির আলোকে দেশটিতে আরো সৈন্য পাঠিয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির মূল্য দিতে হবে বেসামরিক আফগানদের।
সাত বছরের যুদ্ধ শেষে ইরান ও রাশিয়ার সমর্থনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার কিছুটা সুসংহত অবস্থায় ফিরলেও সংঘাত এখনো শেষ হয়নি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
5278fd27-b1db-4aaf-8fc9-f934bd65d2d4 | ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় গতকাল বুধবার পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তাদের খালাস চেয়েছেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীরা। পলাতক বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ এবং মো. খলিল ও আনিসুল মুরসালীনের পক্ষে এই শুনানি হয়।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এর আগে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। ২৫ দিনের মতো রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করে।
ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এই মামলার শুনানি গ্রহণ করছেন। তিনি আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। ওই দিন থেকে অন্য পলাতক আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
পলাতক হারিছ চৌধুরীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে গতকাল রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবু তৈয়ব বলেন, প্রথম অভিযোপত্রে হারিছ চৌধুরীর নাম ছিল না। অধিকতর তদন্তের পর তাঁর নাম এসেছে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য তাঁকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। হারিছ চৌধুরী নির্দোষ দাবি করে তাঁর পক্ষে আইনজীবী খালাস চান।
এ ছাড়া কায়কোবাদের পক্ষে আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম বলেন, কায়কোবাদ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক সংসদ সদস্য, ব্যাপক জনপ্রিয় এই নেতা। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তখন সংসদ সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য তাঁকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী।
কায়কোবাদের পক্ষে আইনজীবী আরো বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকালে কোনো সাক্ষীর মুখ থেকে কায়কোবাদের নাম বের করতে পারেননি। অথচ বিচারের সময় রাষ্ট্রপক্ষের শিখিয়ে দেওয়া কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে তাঁর নাম এসেছে।
এর আগে হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করেন অ্যাডভোকেট চৈতন্য চন্দ্র হালদার। তিনিও হানিফের খালাস দাবি করেন।
এ ছাড়া পলাতক আসামি মো. খলিলের পক্ষে অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান খান এবং আনিসুল মুরসালীনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
74276cf6-d6ff-49c0-80da-8de2830097aa | সিলেট অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরো কয়েক দিন বয়ে যেতে পারে এবং এসব অঞ্চলের আশপাশে বিস্তৃত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ পূর্বাভাস মিলেছে। প্রচণ্ড শীত হানা দিয়েছে উত্তরে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তত্সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় হানা দিয়েছে শীত। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ দরিদ্র মানুষ। শীত মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি খুব সামান্য। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ ছাড়া শীতজনিত রোগবালাইও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।
গত বুধবার থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। গতকাল রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রংপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটু দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে শীত হানা দিয়েছে। অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত মানুষ সূর্যের মুখ দেখছে না। কোথাও বা দেখা গেলেও তা ছিল খুব অল্প সময়ের জন্য। দু-এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরো কমবে বলে নিশ্চিত করে আবহাওয়া অফিস জানায়, একই সঙ্গে পশ্চিমা বাতাস বইবে। তখন মৃদু থেকে মাঝারি শৈতপ্রবাহ বইবে এ অঞ্চলে।
আমাদের রংপুর অফিস জানায়, শীতে অভাবী মানুষজনের জীবন বাঁচানো দায় হয়ে পড়েছে। তিস্তাপারের ধামুর এলাকার সত্তর বছরের ওমর আলী বলেন, ‘নদীপারের ঝুপড়ি ঘরোত হু হু করি বাতাস ঢোকে। ঠাণ্ডায় সারা রাইত নিন (ঘুম) ধরে না।’ একই এলাকার শহর বানু ও জাহানারা বেগম বলেন, ‘দুই দিন না খ্যায়া থাকা যায়, তয় ঠণ্ডার কষ্ট আর সওয়া যায় না।’ পৌষ মাসের মাঝামাঝি হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের অভাবী মানুষজন।
রংপুর নগরীর বাহাদুরসিংহ এলাকার দিনমজুর সেকেন্দার আলী বলেন, ‘থাকি থাকি এবার এমন ঠাণ্ডায় শরীল (শরীর) দুর্বল হয়া গেইছে। কাম (কাজ) করি ক্যামনে!’ ঠাণ্ডার কারণে শ্রম বিক্রি করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র লোকজন। শীতবস্ত্রের অভাবে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শীতের কারণে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত কারণে আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি শিশু ও বৃদ্ধরা।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, মূলত শিশুরাই শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুদের গরম কাপড় পরানো এবং সকালে ও সন্ধ্যার পর তাদের ঘরের বাইরে বের না করার পরামর্শ দেন তিনি।
ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলা থেকে যে পরিমাণ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল, এর বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে খুব সামান্য। জেলাপ্রতি গড়ে চাহিদা ছিল এক লাখ পিস শীতবস্ত্র। এর বিপরীতে সরকারিভাবে বরাদ্দ এসেছে ১৮ হাজার পিস। অন্যান্য মাধ্যমে ত্রাণ অফিসে এসেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার পিস। এসব শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
কম্বল বিতরণ : সাংবাদিক আব্দুল মজিদ-মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অসহায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের আহ্বায়ক সাংবাদিক এস এম কামরুজ্জামান বাদশা গঙ্গাচড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কম্বল বিতরণ করেন।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকার হতদরিদ্র মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোদের দেখা না পাওয়ায় দোকানপাটও খোলেনি।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, গতকাল সন্ধ্যা ও সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছে কুয়াশার চাদরে ঢাকা। দুপুর ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। হিমশীতল ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়ছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন বুধবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে শীত আরো বেশি অনুভূত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, রাজশাহীতে গতকাল বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা বেগম জানান, রাজশাহীতে গত বুধবার চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মাত্র এক দিনের ব্যবধানে গতকাল সকাল ৬টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, দিনের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম। রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। আগামী এক সপ্তাহ শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
10727510-5109-4510-aba8-00f55494ce67 | নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচ দিন ও থানায় জিডি করার এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার তালাবদ্ধ ঘর থেকে নানি ও নাতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁরা খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা। একই জেলার সোনারগাঁয় গত বুধবার রাতে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল গাজীপুরে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ও কেরানীগঞ্জে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
নারায়ণগঞ্জ : মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে নিহতরা হলেন কুমিল্লা জেলার মৃত আব্দুর রহিমের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫০) ও তাঁর নাতি মেহেদী হাসান (৯)। এ ঘটনায় পুলিশ মেহেদীর বাবা নবী আউয়ালকে আটক করেছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন জানান, পারভীন আক্তারের বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তিনি মেয়ে শিল্পী আক্তার সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকায় নাতি, নাতনি ও মেয়ের জামাই নবী আউয়ালকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী মধ্যপাড়ার ইতালিপ্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় বাস করতেন। এর মধ্যে নাতনি কুমিল্লার বাড়িতে চলে যায়। ৩০ ডিসেম্বর সকাল থেকে পারভীন ও মেহেদী নিখোঁজ বলে মেহেদীর বাবা আউয়াল বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ওই বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানালে তালা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পাঁচ-ছয় দিন আগে দুজনকে হত্যা করে তালাবদ্ধ ঘরে রাখা হয়।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামে বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে যুবক মোহাম্মদ আলীকে। তিনি পিরোজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দারগাঁও গ্রামের আরজান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোশারফ হোসেন ও তাঁর সহযোগী জসিম মিয়া, হামিদ মিয়া, হাবিবুর রহমান, শহিদুল্লাহ ও শামিম সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। আলীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল বিকেলে থানাহাজতে আটক মোশারফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, তিনি আলীর হত্যার বিষয়ে কিছুই জানেন না। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আলীর পরিবারের দাবি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গাজীপুর : মহানগরের বাসন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের পয়োনিষ্কাশনের ড্রেন থেকে গতকাল সকালে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। পরনে জিন্সের প্যান্ট, কালো জ্যাকেট ও টিয়া রঙের গেঞ্জি রয়েছে। জয়দেবপুর থানার এসআই মো. সাদেকুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, নিহতের মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের মুন্সি নোয়াদ্দা গ্রামের বিল থেকে গতকাল দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর (১৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, গতকাল সকালে ওই বিলে কাজ করতে যান কয়েকজন কৃষক। তাঁরা বিলের মাঝে নির্জন স্থান একটি মেহগনি গাছে হলুদ ওড়না দিয়ে বাঁধা অবস্থায় এক তরুণীর লাশ দেখতে পান। তাঁরা গ্রামে ফিরে বিষয়টি গ্রামবাসী ও থানাকে জানান।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
f1cf0c3a-7220-4589-8a1f-e0f6a64830a5 | আকাশ সংস্কৃতির কল্যাণে বিদেশি সংগীত শোনার সুযোগ এখন অবারিত। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যারা সংগীতে ঝুঁকছে তাদের প্রায় সবাই ব্যান্ড, পপ, জ্যাজসংগীতে জড়িয়ে ব্যবহার করছে বিদেশি বাদ্যযন্ত্র। ফলে কমে যাচ্ছে দেশীয় কিংবা এই উপমহাদেশের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার। সংগীতের এই ক্রান্তিকালে এক দল সংগীতপ্রেমী নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে ধরে রাখা যায় উপমহাদেশীয় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার। তাঁদেরই একজন সারেঙ্গীবাদক মতিউর রহমান। একসময় এই উপমহাদেশে প্রায় ৬০০ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ছিল। ক্রমেই সেই বাদ্যযন্ত্রগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। জীবিকার প্রয়োজনে পেশা বদল করছেন অনেক যন্ত্রী। কণ্ঠশিল্পীদের কদর কিছুটা থাকলেও প্রধান প্রধান কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ছাড়া অন্য যন্ত্রীদের সেই কদরটুকুও আর নেই। এ অবস্থায় বাদ্যযন্ত্রের সুদিন ফেরাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ১০ দিনের ‘জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব ২০১৮’। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৩ জেলার এক হাজার ২০০ জন যন্ত্রশিল্পী অংশ নিয়েছেন এ উৎসবে। এই উৎসবেই এবার সারেঙ্গী বাজাচ্ছেন মতিউর রহমান। প্রায় ৫০০ বছর ধরে উত্তর ভারতীয় সংগীতে এই যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয়ে এলেও বাংলাদেশের সংগীতে এর ব্যবহার নেই। বলা চলে, স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশে প্রথম এবং একমাত্র সারেঙ্গীবাদক মতিউর রহমান। গত সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়া যন্ত্রসংগীত উৎসবের পঞ্চম রাত আজ শুক্রবারের প্রধান আকর্ষণ মতিউরের সারেঙ্গী বাদন। গতকাল বৃহস্পতিবার উৎসবের চতুর্থ রাতে তবলাবাদকদের সঙ্গে সারেঙ্গীতে সংগত করেছেন তিনি।
মতিউরের জন্ম মানিকগঞ্জ জেলায়। সংগীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আজন্ম। সেই ভালোবাসা থেকেই মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ে। সেখানে অধ্যয়ন করেন কণ্ঠসংগীত বিষয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে তবলা শিখতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস স্কলারশিপ (আইসিসিআর) নিয়ে চলে যান গুজরাট। সেখানকার মহারাজ সায়াজিরাও ইউনিভার্সিটি অব বরোদায় অধ্যায়নকালে ২০০০ সালে সারেঙ্গীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে তাঁর। এরপর সারেঙ্গীর তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ ফারুক লতিফ খানের কাছে।
তবলায় স্নাতক পাস করার পর ফিরে আসেন বাংলাদেশে। এরপর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ নিয়ে সারেঙ্গী শিখতে ওস্তাদ গোলাম সাবির খানের কাছে যান দিল্লিতে। সেই থেকে এই বাদ্যযন্ত্রটিকে সঙ্গী করে সংগীতসাধনায় নিমগ্ন মতিউর। বলে রাখা ভালো, মতিউর ওস্তাদ গোলাম সাবির খানের গণ্ডবাঁধা শিষ্য। ঘটা করে শিষ্যত্ব গ্রহণ করার রেওয়াজকে গণ্ডাবাঁধা শিষ্যত্ব বলে।
সারেঙ্গী শেখার পাশাপাশি মতিউর দিল্লির শ্রীরাম ভারতীয় কলাকেন্দ্রে সোনিয়া রায়ের কাছে কণ্ঠসংগীতের ওপর তালিম নেন। পরে বাংলাদেশে এসে সারেঙ্গীচর্চা অব্যাহত রেখে রাগ-রাগিণীর গায়কি অঙ্গের তালিম নিতে শুরু করেন পণ্ডিত সুনীল কুমার মণ্ডল ও সংগীতাচার্য রেজওয়ান আলী লাভলুর কাছে।
মতিউর বলেন, ‘শ্রদ্ধার সঙ্গেই বলতে হয়, বেশ কজন গুরুর কাছে আমি তালিম নিয়েছি। তাঁদের আশীর্বাদে সারেঙ্গী বাজিয়ে চলছি। সারেঙ্গীই আমার ধ্যানজ্ঞান।’
ভারত ও বাংলাদেশে বড় বড় ধ্রুপদি সংগীত উৎসবে সারেঙ্গী বাজিয়েছেন তরুণ এই যন্ত্রী। ভারতের পাঞ্জাবে পাতিয়ালা হেরিটেজ ফেস্টিভাল, ঢাকায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়জিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব এর মধ্যে অন্যতম। একক বাদনের পাশাপাশি মতিউর রহমান ওস্তাদ ইয়াসিন খান, পণ্ডিত সুনীল কুমার মণ্ডল, পণ্ডিত অনিল কুমার সাহা, রেজওয়ান আলী লাভলু, মুনমুন আহাম্মেদ (কত্থক), বিদ্যা সাহা (দিল্লি), সালমান আমজাদ আমানত আলী (পাকিস্তান) প্রমুখ ধ্রুপদি সংগীতশিল্পীর সঙ্গে সংগত করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
মতিউর বাংলাদেশ বেতারের স্টাফ শিল্পী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত যন্ত্রসংগীত শিল্পী। সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে মতিউরই প্রথম সারেঙ্গী বাজান। এর বাইরে কোনো শিল্পীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারেঙ্গী বাজাতে দেখা যায়নি।
সারেঙ্গী বাদ্যযন্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শ রঙ্গী’ বা ‘শতরঙ্গী’ শব্দ থেকে। মতিউর জানান, এই যন্ত্রটি শতরঙ্গে বাজানো যায় বলেই বোধ হয় এ ধরনের নামকরণ হয়েছে। যন্ত্রটিতে প্রধান তিনটি তার রয়েছে। আর তরপের তার রয়েছে ৩৬টি।
মতিউরের তিন বছর বয়সী যমজ দুটি সন্তান রয়েছে—বিসমিল্লাহ ও মেহবুব। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী মতিউরের কাছে সারেঙ্গী শিখতে আসছে। তাদের মধ্যে কজন বিদেশি শিক্ষার্থীও রয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e6111928-a115-4431-8f16-27220ca9074c | প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত অবধি শিল্পকলা একাডেমি আঙিনায় বইছে সুরের মূর্ছনা। একাডেমির নন্দন মঞ্চে একতারা, দোতারার সুরের সঙ্গে বাজছে হৃদয় উদ্দীপ্ত করা তবলা কিংবা ঢোলের বোল। আর এমন মুখরিত সুরের উৎস হলো ৬৪ জেলার যন্ত্রসংগীতশিল্পীদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ১০ দিনের এ উৎসবের চতুর্থ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন একক পরিবেশনায় তবলার বাদনে শ্রোতার হৃদয়ে আনন্দ ছড়ান জাকির হোসেন। এ ছাড়া একক পরিবেশনায় স্বরগীত বাজিয়ে শোনান নাসির উদ্দীন। তাঁর সঙ্গে একার্ডিয়ানে সংগত করেন মো. মনির হোসেন। আর জেলাভিত্তিক পরিবেশনায় অংশ নেন হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বাদ্যশিল্পীরা।
বাউল ও লোকসংগীতের সুরে হবিগঞ্জের শিল্পীদের মধ্যে বিনয় চন্দ্র সূত্রধর বাজান বেহালা, সত্যেন্দ্র সরকার বাজান দোতারা, বাঁশিতে হাছন আলী, কাঠিঢোলে কাজল মিয়া, নালে সুবীর কান্তি রায়। আর তবলায় সংগত করেন বিল্লাল আহমেদ।
সাতক্ষীরার বিশ্বজিৎ সাহা বাজান তবলা। দোতারায় তপন শীল, আড়বাঁশিতে দেবব্রত মণ্ডল, ঢোলে কার্ত্তিক, সানাইয়ে ছোট, কর্নেডে নিরঞ্জন, বেহালায় অজিত কুমার বৈরাগী, হারমোনিয়ামে শ্যামল কুমার সরকার এবং গিটারে সুর তোলেন জামিউল হক।
ফরিদপুরের মো. আলাউদ্দিন বাজিয়েছেন হাওয়াইন গিটার ও মাউথ অর্গান। ফারুক হোসেন বাজিয়েছেন হারমোনিয়াম, বাংলা ঢোলে বোল তুলেছেন হায়াতুল ইসলাম কল্লোল, তবলা বাজিয়েছেন সূর্যনাথ দাস, মো. লিয়াকত হোসেন সুর ছড়িয়েছেন বাঁশিতে, দোতারা বাজিয়েছেন শাহজাহান। অমিত সাহা ও অনুপ ঘোষ বেহালার সুরে উচ্চাঙ্গসংগীত, বিচ্ছেদী গান, আধুনিক গান ও লোকগানের সুর ছড়িয়েছেন।
কুড়িগ্রামের সফিকুল ইসলাম সফি বাজিয়েছেন হারমোনিয়াম ও কি-বোর্ড, দোতারা ও বেহালা বাজিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র, বাঁশিতে সুর তুলেছেন বিপিন ও জীবন, বাংলা ঢোল বাজিয়েছেন নিহার রঞ্জন, মন্দিরায় শব্দধ্বনি ছড়িয়েছেন মদন মোহন, খোলের বাদন শুনিয়েছেন দেবাশিষ রায়, তবলায় সংগত করেছেন নিমাই চন্দ্র, খমক বাজিয়েছেন হুলী চরণ, সারিন্দা ও দোতারা বাজিয়েছেন ফুলবাবু মোহন্তা, তবলায় বোল তুলেছেন কৃষ্ণ কুমার এবং জিপসি পরিবেশন করেন প্রদীপ কুমার।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
6882d2a5-c3ab-4590-b120-1421bf0cd207 | অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের শেষ সম্বলটুকুও। এমনই বাস্তবতায় দেশটিতে সামরিক জান্তাপ্রণীত সংবিধান নতুন করে লেখা এবং স্বীকৃত সব সংখ্যালঘুর জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াও। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় দিবসে দেওয়া বক্তব্যে তিনি ওই আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য রোহিঙ্গারা আজও সংখ্যালঘু হিসেবে দেশটিতে স্বীকৃত নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এমন একসময় সংবিধান সংস্কার ও সংখ্যালঘুদের ন্যায়বিচারের ডাক দিলেন, যখন দেশটির সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যের পাঁচ লাখেরও বেশি মুসলমানকে (রোহিঙ্গা) দেশের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট পদটি অনেকাংশেই আলংকারিক। প্রেসিডেন্টের চেয়ে সেখানে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ক্ষমতা অনেক বেশি। অনেকে বলছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার বিষয়ে দেশটির বক্তব্য কী হবে তা ঠিক করার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী প্রভাব খাটিয়েছে। সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানোর ক্ষেত্রেও সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করেছে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াও গতকাল তাঁর বক্তব্যে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানালেও রোহিঙ্গাদের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি। এমনকি রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিষয়ে মিয়ানমারের বৈশ্বিক নিন্দার বিষয়েও কিছু বলেননি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সব নৃগোষ্ঠী, ন্যায়বিচার, সাম্য ও আত্মপরিচয়ের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর নীতির ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে আমরা কাজ করছি।’ দেশটিতে কয়েক দশক ধরে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীকে সংঘাত ছাড়ারও আহ্বান জানান তিনি। কয়েক যুগ ধরে সামরিক জান্তা শাসিত মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও দেশটির নৃগোষ্ঠী হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি মেলেনি। সংবিধান সংশোধন করে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা রাখার সুযোগ খর্ব করার ভাবনা দেশটিতে অন্যতম বহুল আলোচিত বিষয়। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির আইন উপদেষ্টা কো নি গত বছরের জানুয়ারিতে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ থেকে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী তিন কিয়াও স্টেট কাউন্সেলর সু চির ঘনিষ্ঠ মিত্র। ১৯৬২ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তিন কিয়াওই প্রথম প্রেসিডেন্ট যাঁর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। ২০০৮ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা প্রণীত সংবিধান কেন জুতসই নয় বা জুতসই সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি।
তবে মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের উদ্যোগ মোটেও সহজ হবে না। সংবিধান সংশোধনের জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের ৭৬ শতাংশের সমর্থন প্রয়োজন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্ররা পার্লামেন্টে বেশ প্রভাবশালী। মিয়ানমারে সংবিধানে পার্লামেন্টের মোট আসনের এক-চতুর্থাংশ এবং প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর মন্ত্রী পদগুলো সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত আছে। এগুলো নিরাপত্তাবিষয়ক নিয়ন্ত্রণ ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীকে কার্যত ‘ভেটো’ ক্ষমতা দিয়েছে।
জান্তা সরকার প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী, স্বামী বা সন্তানরা বিদেশি হলে কেউ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। সু চির প্রয়াত স্বামী ও সন্তানরা বিদেশি হওয়া তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বড় বাধা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগামী সপ্তাহে তথ্য সংগ্রহ শুরু : রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য আগামী সপ্তাহে তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। কক্সবাজারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ আবুল কালামের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া এ তথ্য জানায়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a7569fb2-008f-46f3-95d5-eeb9b5e75ae3 | মাদক ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এর জন্য সরেজমিনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যরা। আগামী ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কমিটির ১৯তম বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে হামলার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আগামী ১৬ জানুয়ারি সংসদীয় কমিটির সদস্যরা কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ‘শরণার্থী’ ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার পর তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। কমিটির সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী নিবন্ধন কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত হবেন। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালান সম্পর্কে সরেজমিনে খোঁজখবর নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বৈঠকে ক্যাম্প এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৈঠকে মাদক চোরাচালান বন্ধ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। গত বছরের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ১৮তম বৈঠকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। সংসদীয় কমিটির গত ১০ থেকে ১২ অক্টোবর কক্সবাজার যাওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সম্প্রতি আরো দুটি সংসদীয় কমিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। একই দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উখিয়ার রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর কাজ পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ২৮ নভেম্বর কমিটির ২৮তম বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সম্ভাব্য পরিদর্শনসূচি প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু পরে এ বিষয়ক আর কোনো উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়নি। আর ওই দুই কমিটি পরিদর্শন করলেও তাদের সুপারিশ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক কতটা সুফল বয়ে আনবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অবশ্য সংসদীয় কমিটির এই কর্মসূচি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হোসেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, মাদক নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। কক্সবাজারে সরেজমিনে দেখার পর এসংক্রান্ত সুপারিশগুলো আরো সুনির্দিষ্ট করা হবে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুটি বর্তমানে বিশ্বে সব চেয়ে আলোচিত ইস্যু। কমিটির পক্ষ থেকে আগে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে কক্সবাজারের বৈঠকে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
036e4191-6652-4389-b9f3-9d9a647aa81b | সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ, আইনজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা। তাঁরা বলেছেন, গণপরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা না গেলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দরকার নৌপথ, সড়কপথ ও রেলপথের মধ্যে সমন্বয় করে একটি সমন্বিত গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য সুপরিকল্পিত প্রকল্প প্রণয়ন ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন কমরেড মণি সিংহ সড়কস্থ মুক্তি ভবনে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনাসভায় তাঁরা এসব কথা বলেন। ‘সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও প্রতিকার’ শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে। বক্তব্য দেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক রাজন ভট্টাচার্য, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী তাসলিমা পারভীন কল্পনা, সংস্কৃতিকর্মী বিপুল মোল্লা, পরিবেশকর্মী ইফমা হুসেইন এবং আয়োজক সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হীরক পাশা চৌধুরী।
সভায় বক্তারা বলেন, সাধারণ মালিকদের হয়রানি বন্ধ ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য মজুরি-ভাতা দেওয়া না হলে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা মোটেও সম্ভব নয়। এ জন্য ঢাকাসহ সারা দেশের বাস-ট্রাক টার্মিনালগুলো চাঁদাবাজিমুক্ত এবং চালক ও সহকারীসহ সব ধরনের পরিবহনকর্মীদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
সভায় উত্থাপিত প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১৪ দফা সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বাধ্যতামূলক করতে হবে। পরিবহনকর্মীদের নিয়োগপত্র ও শ্রম আইন মেনে মজুরি-ভাতা প্রদান ও তাঁদের শ্রমঘণ্টা নির্ধারণ করতে হবে। সব বাস ও ট্রাক টার্মিনাল এবং টেম্পোস্ট্যান্ড ও দূরপাল্লার রুটে অবৈধ চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি উদ্যোগে বাস আমদানি উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং রুট পারমিট প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সারা বছর বিআরটিএর অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চালানোর দায়ে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীর সঙ্গে মালিককেও আইনের আওতায় আনতে হবে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য দায়ী চালকের মৃত্যুদণ্ড, সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আহতের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হতাহত পরিবারকে মালিকের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
আরো বলা হয়, সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলো নিয়মিত সংস্কার, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সতর্ক সংকেত স্থাপন করতে হবে। ট্রাফিক আইন অমান্যকারী চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নসিমন-করিমনসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্ষুদ্র যানবাহন ও অটোটেম্পো, হিউম্যান হলার চলাচলের ওপর নজরদারি বাড়ানো এবং ওই সব যানবাহনের চালক ও সহকারীর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রুটসহ দেশের সব আন্ত জেলা রুটে বিআরটিসির সার্ভিস চালু করতে হবে। বিআরটিসির বাস ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা প্রদানের প্রথা বাতিল ও বিআরটিসির বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সব যানবাহনে ‘যাত্রীবীমা’ এবং চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনার গত তিন বছরের মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৭ সালে সারা দেশে তিন হাজার ৪৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৬ নারী ও ৫৩৯ শিশুসহ মোট চার হাজার ২৮৪ জন নিহত এবং ৯ হাজার ১১২ জন আহত হয়েছেন। আগের বছর ২০১৬ সালে দুই হাজার ৯৯৮টি দুর্ঘটনায় ৪৭০ নারী ও ৪৫৩ শিশুসহ তিন হাজার ৪১২ জন নিহত এবং আট হাজার ৫৭২ জন আহত হন। সড়ক দুর্ঘটনায় বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকা বা জিডিপির ২ শতাংশ বলে জানানো হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
733d97b5-5277-4fe6-9043-9d9a2dfa769e | রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানো মিয়ানমারকে আবারও বিশেষ উদ্বেগের দেশের তালিকায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমার ছাড়াও চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সুদান, সৌদি আরব, তাজিকস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান রয়েছে ওই তালিকায়।
অন্যদিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য পাকিস্তানকে ‘বিশেষ নজরদারি তালিকায়’ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের আওতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গত ২২ ডিসেম্বর এই তালিকা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
হিদার নুয়ার্ট বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বা ধর্মীয় স্বাধীনতা চর্চা করায় বিশ্বের অনেক স্থানে এখনো লোকজনকে হয়রানি, অন্যায়ভাবে বিচার বা আটক করা হচ্ছে। বর্তমানে বেশ কিছু সরকার তাদের দেশের নাগরিক বা বাসিন্দাদের ধর্মীয় বিশ্বাস চর্চা বা উপাসনালয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
হিদার নুয়ার্ট বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা অপরিহার্য। সুনির্দিষ্ট কিছু দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক স্বাধীনতা চর্চাকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকার, নাগরিক সমাজ সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় মদদে নির্যাতিত-নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই মুসলমান। রাখাইন রাজ্যে তাদের ধর্মচর্চা ও মসজিদে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9ca9f4cd-d77e-4c8b-a56b-fa5727a33bd5 | লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে র্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার র্যাব ১১-এর ডিএডি মনির হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এতে আসামি হিসেবে রামগতির চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শেখ ফরিদ ওরফে ফরিদ কমান্ডারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলার ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে। অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। চরগাজীর হাট-বাজারগুলোতে গতকাল পুরুষদের আনাগোনা ছিল খুবই কম।
র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, র্যাবের একটি দল গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অপরাধবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতে মোটরসাইকেলে চরগাজী ইউনিয়নে যায়।
এ সময় শেখ ফরিদ ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে র্যাব সদস্য মফিজুল ইসলাম, শাখাওয়াত, শাহীন ও ইসহাক আহত হন। হামলাকারীরা র্যাব সদস্যদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে।
রামগতি থানার ওসি ইকবাল হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় কয়েকটি মামলা আছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3fdd39ff-6c10-4811-b327-b22c6c2e4cd8 | রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ৬০ লাখ ভূমিহীন পরিবার বসতভিটার অধিকার থেকে বঞ্চিত। উত্তরের ১৬ জেলায় তিন লাখ ১৬ হাজার একরের বেশি খাসজমি রয়েছে। ওই জমির অর্ধেকের বেশি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখলে রেখেছে, যার মূল্য ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকার চাইলে বেদখল হয়ে থাকা ওসব জমি উদ্ধার করে অন্তত ১০ লাখ ভূমিহীনকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া যেতে পারে।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, অবৈধ দখলে থাকা খাসজমি উদ্ধারে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার কারণে উদ্ধারপ্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। উদ্ধার করা খাসজমিতে আদর্শ গ্রাম করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় ভূমি ও জরিপ রেকর্ড অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের আট জেলায় খাসজমি রয়েছে মোট এক লাখ সাত হাজার ২৭২ দশমিক ৪১ একর। এর মধ্যে অকৃষি ৬০ হাজার ৮১৪ দশমিক ৬৫ একর। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৯৮২ একর খাসজমির মধ্যে অকৃষি রয়েছে এক লাখ আট হাজার ৯৮২ দশমিক ৭৪ একর।
অবৈধ দখলে থাকা খাসজমি উদ্ধারে স্বাধীনতার পর কোনো সরকারই জোরালো উদ্যোগ নেয়নি। বরং ভূমি ও জরিপ রেকর্ড অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দখলদারদের গোপন সমঝোতা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে হাউজিং ব্যবসায়ী, মহাজন, সরকারি আমলা, দাদন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, জোতদার, শিল্পপতিসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা জাল দলিল ও ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে খাসজমি অবৈধভাবে নিজেদের নামে নামজারি করে ভোগদখল করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া এসব খাসজমি থেকে ভূমিহীনকে বিতাড়িত করে ওই জমি দখলে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রংপুরের ৪১ শতাংশ খাসজমিই গঙ্গাচড়া উপজেলায় রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জমিই প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। এ ছাড়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের চতুরা মৌজায় ৮৩ একরের বেশি খাসজমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। দখলদাররা খাসজমির আকৃতি-প্রকৃতিই বদলে দিয়েছে অনেক জায়গায়। এর মধ্যে কিছু জমিতে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবাদি জমিতে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছে।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনি এলাকায় প্রায় সাত একর জমি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন প্রভাবশালীরা। ভূমিহীনরা ওসব জমি তাদের নামে বরাদ্দের জন্য মিঠাপুকুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভূমিহীনদের নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ ভূমিহীন মানুষ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। একটু মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য তারা নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে। পরিকল্পিতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলে দখল হয়ে যাওয়া এসব খাসজমিতে প্রায় ১০ লাখ ভূমিহীনকে বসতভিটা করে দেওয়া সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসেই কিছু না কিছু খাসজমি উদ্ধার করছি। অনেক দখলদার আদালতে মামলা করেছে। মামলার কারণে বেশ কিছু জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। খাসজমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় আইনগত জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি জানান, উদ্ধার করা বড় খাসজমিতে আদর্শ গ্রাম করার পরিকল্পনার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
fb93e95d-5604-4089-82fb-dd014136d259 | গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ঢালাইয়ের পরই ছাদ ধসে পড়ে। এতে একজন নিহত ও আটজন আহত হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
নির্মীয়মাণ দোতলা একটি ভবন বর্ধিত করার জন্য সেখানে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। ওই ছাদের নিচে কাজ করছিলেন অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন নির্মাণ শ্রমিক। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরই ছাদটি ধসে পড়ে। ওই সময় নির্মাণ শ্রমিকদের বেশির ভাগই সরে গেলেও ৯ জন চাপা পড়েন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
দুর্বল শাটারিংয়ের (অস্থায়ী কাঠামো) কারণে ঢালাই শেষ হওয়ার পরই তা ধসে পড়ে বলে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে পাশের জয়দেবপুর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থল পৌঁছে এক নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। ধসে পড়া ছাদ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় আরো আট নির্মাণ শ্রমিককে। তাঁদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতের নাম ফকির আলী (২২)। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরমহুরিহাট গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আহতরা হলেন রহিম বাদশা (২৫), মাহিদুল (২৪), মিন্টু (২২) ও ইকবাল হোসেন।
নির্মাণাধীন ছাদ ধসে পড়ার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসন ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গঠন করা তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ছাড়া নিহত নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা মানবিক সহায়তা দিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক।
এলাকাবাসী জানায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ভিশন শিল্প গ্রুপের একটি রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে দোতলা একটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল।
কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক জানান, দোতলা ভবনের দক্ষিণ-উত্তর পাশে বর্ধিত করে সেখানে ছাদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন রিসোর্টের মালিক ড. আবদুল হামিদ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শাটারিং নির্মাণের পর গতকাল সকাল থেকে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়।
নির্মাণ শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। এর প্রায় আধাঘণ্টা পরই ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় বেশির ভাগ নির্মাণ শ্রমিকই সরে গেলেও ৯ জন তাতে চাপা পড়েন।
প্রহ্লাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইজ্জত আলী খান জানান, নির্মাণ শ্রমিকদের চিৎকারে টের পেয়ে গ্রামবাসী ছুটে গেলেও ধসে পড়া ছাদ সরাতে ব্যর্থ হয়। ফলে তাত্ক্ষণিক চাপা পড়া নির্মাণ শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থল পৌঁছে এক নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
57867acf-6387-4dfd-9398-86bb2ed8b99e | রংপুর অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। প্রয়োজনের তাগিদে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে মানুষ। গতকাল তারাগঞ্জ উপজেলার ইকোরচালী এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি : কালের কণ্ঠ
উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। শীতে কষ্ট পাচ্ছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। এর মধ্যে তীব্র কুয়াশায় দিনভর ঢাকা থাকছে আকাশ। কোথাও দিনে একবারও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগে দুই দিনে তিন শিশু মারা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে অন্যতম ব্যস্ত নৌরুট আরিচা-দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপার বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সাড়ে সাত ঘণ্টা আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাসস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
বাসস জানায়, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র এ কে এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিট থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ১১ মিনিট পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বিমান ওঠানামা বাতিল করতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, এ সময় শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার দুটি এবং বাংলাদেশ বিমানের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে শাহজালালে অবতরণ করতে না দিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দুবাই থেকে আগত বাংলাদেশ বিমানের একটি এবং কুয়ালালামপুর থেকে আগত ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। কুয়ালালামপুর থেকে আগত ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের আরো একটি ফ্লাইটকে মিয়ানমারে মান্দালয়ে পাঠানো হয়। বিমান চলাচল বাতিল করার কারণে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট কলকাতা ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ব্যাংকক যেতে বিলম্ব হয়। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছাড়াও নভো এয়ারের চারটি, ইউএস বাংলার তিনটি, বাংলাদেশ বিমানের দুটি ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিলম্বে চলাচল করে।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল সকালে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই দিনে তিনটি শিশু মারা গেছে।
মৃতদের মধ্যে রাজারহাটের মীম (দেড় বছর) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তার বাবা বুলবুল বৃহস্পতিবার রাজারহাট উপজেলা থেকে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। আক্রান্ত শিশুটি আধাঘণ্টা পর মারা যায়। একই দিন রাজারহাটের চতুর্ভুজ গ্রামের দুলালী (২১ দিন) নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নয়নমনি নামের এক দিনের এক শিশু শুক্রবার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শীতে নয়, সে কম ওজন নিয়ে জন্মের (লো বার্থ ওয়েট) কারণে মারা যায়। তিনি জানান, শুক্রবার সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগে ৩৯ জন ভর্তি হয়েছে।
এদিকে কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে ভুগছে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো জনপদ। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্য়ের দেখা না মেলায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হচ্ছে। এ অবস্থায় শীতকাতর মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় ৪২০টি চরের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে ভুগছে। এমতাবস্থায় কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ।
কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক মোফাখারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর : ‘কাম (কাজ) না করলে তো প্যাটোত (পেটে) ভাত যায় না। কঠিন ঠাণ্ডায় সারা দিন থরথর করি গাও কাঁপে। ইয়াতে কতক্ষণ কাম করা যায়!’ ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে কাদাপানিতে বোরো ধানের চারা রোপণকালে এমন কথা বলেন রংপুর নগরীর চব্বিশ হাজারী এলাকার হোসেন আলী। শুধু তিনিই নন, ঘন কুয়াশাসহ তীব্র শীত জেঁকে বসায় রংপুরের সর্বত্র শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে বেকায়দায়।
কনকনে হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে তিন দিন ধরে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে রংপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে। সকাল থেকে সারা দিন প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশার চাদরে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল থেকে সারা দিনে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। দিনের বেলায়ও কোনো কোনো এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। সন্ধ্যার পরপরই শহর ও গ্রামের হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
পঞ্চগড় : গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহ আর উত্তর থেকে ধেয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত নিবারণে প্রয়োজনীয় বস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত বুধবার থেকে পঞ্চগড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে চারদিক। মধ্যরাতে তাপমাত্রা আরো কমে যাচ্ছে। বর্তমানে জেলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। ঘন কুয়াশা চলে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই উত্তাপ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের পাশাপাশি দরিদ্র শীতার্তদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা : গতকালও চুয়াডাঙ্গায় ছিল তীব্র শীত। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ ডিগ্রিতে।
শীতের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, বীজতলায় জমে থাকা শিশির ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : গতকাল শুক্রবার দুপরে দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের বিশাল পার্কিং ইয়ার্ড ট্রাক ও লোকাল বাসে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। অন্যদিকে ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের ইউনিয়ন বোর্ড এলাকা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার ফোরলেন রাস্তার একপাশে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
30a436e2-1a88-4501-900a-a2f72d7abbb7 | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছিলেন। প্রচার রয়েছে তিনি সেখানে মারা গেছেন। প্রকৃতই তিনি মারা গেছেন, নাকি মৃত্যু নাটক সাজানো হয়েছে তা জানতে উদ্যোগ নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগের আড়াই বছর পরও এখনো অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে তাঁর মৃত্যুরহস্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ২ জুন আজিজ পাশা বিদেশে মারা গেছেন বলে ২০০২ সালের ২৫ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। ওই সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। আজিজ পাশার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ওই বছরের মার্চে এ বিষয়ে জানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আজিজ পাশার মৃত্যু-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র যাচাই করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কিছুদিন পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করে জিম্বাবুয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আড়াই বছর পার হলেও এ পর্যন্ত আজিজ পাশার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, সত্যিই আজিজ পাশার মৃত্যু হয়েছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি জানতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যাকাণ্ডের পরদিন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিশেষ বিমানে করে রেঙ্গুন (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন) হয়ে থ্যাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক চলে যান। সেখান থেকে পাকিস্তান সরকারের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে তাঁদের লিবিয়ায় পাঠানো হয়। ওই খুনিদের মধ্যে আবদুল আজিজ পাশাও ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ৮ জুন বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনিকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়। আবদুল আজিজ পাশাকে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে। পরে তাঁকে আলজেরিয়ায় বদলি করা হয়। এরপর জিম্বাবুয়েতেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানকে নিয়োগ করা হয় ওই টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ওই টাস্কফোর্স অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে টাস্কফোর্স গঠনের পরই জিম্বাবুয়েতে অবস্থানরত আজিজ পাশাকে ফেরত পেতে ওই দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। মুগাবে বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাশাকে ফেরত দিতে রাজি হন। বাংলাদেশ ওই বিপুল অর্থের বিনিময়ে তাঁকে ফেরত আনতে সম্মত হয়নি।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সুসম্পর্ক ছিল। খুনিরা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করলেও বছরে একবার লিবিয়ার বেনগাজিতে মিলিত হতেন। আশির দশকে আবদুল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে যান। সেখান থেকে বেনগাজিতে গিয়ে অন্য খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করতেন পাশা। চাকরি চলে যাওয়ার পর গাদ্দাফি অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন আজিজ পাশাকে। নব্বইয়ের দশকে গাদ্দাফির দেওয়া টাকায় ১০টি বাস কিনে হারারেতে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন আজিজ পাশা।
২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। আরো ছয় খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছেন লে. কর্নেল (বরখাস্ত) নূর চৌধুরী, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
43bf5af0-25c9-429a-906a-91102b31c622 | একাদশ নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘উপযুক্ত সময়ে’ আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমঝোতার পথে যাবে না। একমাত্র বিকল্প হলো রাজপথ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের ‘৫ জানুয়ারি কলঙ্কিত নির্বাচন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সময় যখন আসবে, তখন বিএনপি কর্মসূচি দেবে। সে জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। একটা উপযুক্ত সময়ে আন্দোলনের সেই কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই কর্মসূচি সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’
মওদুদ বলেন, ২০১৪ সাল আর ২০১৮ সাল এক নয়। এবার আমরা নির্বাচন করব, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেব। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়।
অধস্তন বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধিমালার মাধ্যমে নিম্ন আদালতকে সরকার আরো কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে মন্তব্য করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, এস কে সিনহার ঘটনার মাধ্যমে সরকার নিজেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন তারা নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য একটা শৃঙ্খলাবিধির গেজেট করেছে। এই গেজেটের মাধ্যমে নিম্ন আদালতকে এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক কেমিস্ট্রির মধ্যে’ গোলমাল আছে দাবি করে মওদুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান থাকলেও স্বাধীনতার পর তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এখন অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে। মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে বিরোধী দলকে দমন করছে।
৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করেছে। আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এম এ হান্নান প্রমুখ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e69b46e0-04ae-4bf7-a9b4-3a5ebbc20e78 | তিতুমীর কলেজের ছাত্র শাকিল শেখকে বাসচাপায় হত্যার ঘটনায় চালক মোহাম্মদ ফয়েজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই শেখ মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাসচালক ফয়েজকে বৃৃহস্পতিবার রাতে বনানীর কাকলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর বাসটি রাস্তায় রেখে পালানোর চেষ্টা করছিল সে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়েজ পুলিশকে জানায়, ছাত্রদের সঙ্গে হেলপারের তর্কাতর্কির সময় সে বাসটি টান দিলে এক ছাত্র আহত হয়। পরে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারে সে।
মামলার বাদী নিহত শাকিলের বন্ধু রায়হান এজাহারে উল্লেখ করেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় শাকিলকে চাপা দেয় আইসিডিডিআরবির একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাকিল। বাসচালক ইচ্ছাকৃত শাকিলকে চাপা দেয়। বেপরোয়া বাস চালানোর কারণে তার পায়েও আঘাত লেগেছে।
গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তখনো রাস্তায় রক্তের দাগ। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ মিলন কালের কণ্ঠকে জানান, ঘটনার সময় তিনি দোকানের ভেতর বসে ছিলেন। চার কিশোর রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এই নিয়ে ছাত্ররা চিৎকার করে প্রতিবাদ জানায়। ওই ছাত্রদের মধ্যে দুজন প্রতিবাদ করতে করতে বাসটিতে উঠে পড়ে। চালক ও হেলপারের সঙ্গে তাদের তর্ক বেধে যায়। এর মধ্যে বাসটির হেলপার তাদের মারধর করে লাথি দিয়ে গাড়ি থেকে নিচে ফেলে দেয়। ওই সময় চালক এক ছাত্রের ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা উঠিয়ে দেয়।
আহত রায়হান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা চার বন্ধু আমতলী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় কলেরা হাসপাতালের একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়। তাঁরা বাসটি ধরতে সামনে এগিয়ে যান। একপর্যায়ে শাকিল ও সে বাসে উঠে পড়লে হেলপার তাঁদের ধাক্কা ও লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়। ওই সময় চালক শাকিলের শরীরের ওপর দিয়ে বাসটির সামনের চাকা উঠিয়ে দেয়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে শাকিল মারা যায়।
জানা গেছে, বাসটির মালিক আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে কলেরা হাসপাতাল (আইসিডিডিআরবি) কর্তৃপক্ষ বাসটি ভাড়া নিয়ে স্টাফদের অফিসে আনা নেওয়া করত।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
c5691553-cec4-442e-9067-fe4f435769e7 | কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলার সরারচর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মো. মঞ্জু মিয়াকে একমাত্র আসামি করে গত বুধবার করা ওই মামলায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম উল্লেখ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর একটি প্রগ্রামে যাওয়ার পথে যুবলীগ নেতা মঞ্জু পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে গালাগাল করেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে বাজারের লোকজনের সামনেই মঞ্জু অশ্লীল ভঙ্গি করে তাঁকে অপহরণের পর ধর্ষণের হুমকি দেন। একই সঙ্গে হত্যার পর লাশ গুম করারও হুমকি দেন তিনি।
এদিকে আদালত সূত্র জানায়, অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুন নূর ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম জানান, একজন নারী জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে এভাবে হুমকি দিয়ে যুবলীগ নেতা নারীসমাজের প্রতি চরম অবমাননা ও অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। তাতে সামাজিকভাবে তিনি হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাঁর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগায় তিনি বেশ আতঙ্কে আছেন।
চিহ্নিত মহলটি মামলার তদন্তে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি সত্য আড়াল করার চক্রান্ত করতে পারে বলেও ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
তবে যুবলীগ নেতা মো. মঞ্জু মিয়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর তাঁর বাড়িতে স্থানীয় এমপি দাওয়াত খান। এ নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কটূক্তি করলে তিনি তাঁকে এ বিষয়ে কেবল জিজ্ঞাসা করেছেন।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন জানান, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতের নির্দেশনার কাগজ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d177e31f-3298-4f39-a9a5-8bb5ac07263f | ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা থাকলেও গতকাল শনিবার অলিগলিতে ঝটিকা মিছিল ছাড়া বড় ধরনের কোনো বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি বিএনপিকে। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দলটি দাবি করেছে, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতি থানায় বিক্ষোভ হয়েছে।
৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ায় গতকালের ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিল তারা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর ৫ জানুয়ারি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।
তবে গতকাল সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাতে আওয়ামী লীগকে ভাঙা কলসি আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, তারা অতিকায় ডাইনোসরে পরিণত হয়েছে, অতি শিগগির অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
রিজভী আরো বলেন, “শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্য ‘ফাঁকা বুলি’। এ দিয়ে তিনি নিজের পদকে নিরাপদ করছেন। এসব কথা না বললে তো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও থাকা যাবে না, মন্ত্রীও থাকা যাবে না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরিণতি কী হবে এটা অনুধাবন করেই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হুমকি আর ধমকের পথ অবলম্বন করেছেন, নানা মতলববাজি কথাবার্তা বলছেন।”
৫ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, মীর শরাফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর থানায় থানায় করা বিক্ষোভ কর্মসূচির বেশির ভাগ মিছিলই ছিল স্বল্পস্থায়ী। মূল সড়কে না করে অলিগলিতে এসব মিছিল করেছে তারা। ফলে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাড্ডা থানায় একটি বিক্ষোভ মিছিল লিংক রোড থেকে শুরু হয়ে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এসে শেষ হয়। পল্লবী থানায় মিছিল হয়েছে কমিশনার মো. সাজ্জাদ ও বুলবুল মল্লিকের নেতৃত্বে। তেজগাঁও থানায় এল রহমানের নেতৃত্বে বিজয় সরণি সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়। শেরেবাংলা নগর থানার মিছিলটি স্কয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে শমরিতা হাসপাতালের সামনে গিয়ে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল আনন্দ বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে শিশু মেলায় এসে শেষ হয়। রামপুরা থানা বিএনপির মিছিল হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান মিহিরের নেতৃত্বে। রূপনগর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে শুরু হয়ে দুয়ারীপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়। বেপারী রোড থেকে শুরু হয়ে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয় উত্তরখান থানার মিছিলটি। পরে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়। তা ছাড়া বিমানবন্দর থানা, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, মিরপুর, দারুস সালাম, ভাষানটেক, দক্ষিণখান, তুরাগ, শ্যামপুর, খিলগাঁও, কলাবাগান, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, গেণ্ডারিয়া, বংশাল, সূত্রাপুর, ওয়ারী, ডেমরা, কোতোয়ালি, চকবাজার ও পল্টন থানায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বিক্ষোভ মিছিল সফল হয়েছে দাবি করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে অধিকারহীন রাখা যাবে না—মঈন : সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে ‘অধিকারহীন’ করে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, মানুষের যে গণতান্ত্রিক অধিকার সেটা হচ্ছে ভোটের অধিকার। এটিই মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সাংবিধানিক অধিকারের অনেক ওপরে।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের উদ্যোগে ‘সংকট উত্তরণের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
c2d2fb06-4b79-4115-b880-bfbae19dc738 | যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ বিদেশে স্থানান্তর এবং মোটরসাইকেলে ভাড়ার হারে নিয়ন্ত্রণারোপ ছাড়াই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা’। অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা-বিষয়ক নীতিমালার খসড়া দ্রুত মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে। গত ১৪ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রায় দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকায় অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা বিস্তৃত হচ্ছে দ্রুত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গাড়িসেবা প্রতিষ্ঠান ‘উবার’ ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর সেবা শুরু করে। গণপরিবহনের চরম সংকটের ফাঁকে অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবায় যোগ হয়েছে মোটরসাইকেলও। দ্রুত এই সেবার বিস্তৃতি ঘটলেও এ বিষয়ে সরকারি নীতিমালা নেই। উবারের সেবা চালু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এই সেবা অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এরই মধ্যে উবারের সেবা বিস্তৃত হয়েছে। উবার কর্তৃপক্ষ নিজেরাই দুই দফা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। উবার ছাড়াও মোটরসাইকেলে যাত্রীসেবা দিচ্ছে ‘পাঠাও’সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভাড়ার হার নির্ধারণে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় উবার কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করে বিদেশে অর্থ পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ট্রিপের ভাড়া থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ সরাসরি কেটে নিচ্ছে উবার কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন না নিয়ে উবার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তর করছে। কোনো বিদেশি কম্পানি ব্যবসা করে লাভের অংশ বিদেশে নিয়ে যেতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয় কিংবা কমপক্ষে লভ্যাংশ পাঠানোর ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয়। উবার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো অনুমতিই দেয়নি।
এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় উবারসহ অন্য সব কম্পানির অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবার জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে। দেখা গেছে, অর্থ স্থানান্তর বিষয়ে এই নীতিমালায় কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এশিয়ার বিভিন্ন নগরীর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি হারে বিস্তৃত হচ্ছে উবারের সেবা। উবারের হিসাব মতে, মাসে গড়ে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে যাত্রী। উবার এক্স চালু হওয়ার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হয়েছে উবার প্রিমিয়ার সেবা। উবার এক্সে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ১৮ টাকা। উবার প্রিমিয়ারে তা ২২ টাকা। উবার চালকদের কাছ থেকে জানা যায়, আয়ের ২৫ শতাংশ কেটে রাখে উবার কর্তৃপক্ষ, বাকি ৭৫ শতাংশ পান গাড়ির মালিক।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় চালাতে দেশে কোনো বিধি-বিধান নেই। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ৫৩ ধারার ক্ষমতাবলে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করার জন্য নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই নীতিমালা অনুসারে, মোটরগাড়ি ছাড়াও মোটরসাইকেল, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুল্যান্স যুক্ত হতে পারবে এ সেবায়। একজন মোটরযানচালক একটি মাত্র কম্পানির অধীনে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় পরিচালনার অনুমতি পাবেন। প্রত্যেক গাড়িচালকের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রণীত নীতিমালায় ১০টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ভাড়াসংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় চলাচলকারী ব্যক্তিগত মোটরগাড়ির ভাড়া ‘ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন ২০১০’ অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি হতে পারবে না।
জানা গেছে, বর্তমানে উবার এক্সে ১০ দশমিক ৪৫ কিলোমিটারে যাত্রী পরিবহনের ভাড়া ৩৭০ টাকা। একই দূরত্বে হলুদ ট্যাক্সিতে এই ভাড়া ৪০০ টাকা।
প্রণীত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার পর কমপক্ষে এক বছর ব্যবহারের পর তা রাইড শেয়ারিংয়ের অধীনে পরিচালনা করা যাবে। এর জন্য প্রথমেই নিবন্ধন করতে হবে। রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঢাকায় কমপক্ষে ১০০, চট্টগ্রামে ৫০ এবং অন্যান্য শহরে ২০টি গাড়ি থাকতে হবে। বিআরটিএ থেকে এসব গাড়ির নিবন্ধন লাগবে। সেবাদানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির জন্য এক লাখ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স, ইটিআইএন, ভ্যাটসহ নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নবায়নের আবেদন করতে হবে। ফি লাগবে ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেওয়া ও নবায়নে বছরে যথাক্রমে এক হাজার ও ৫০০ টাকা হারে ফি দিতে হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, যাত্রীদের অভিযোগ ও জরুরি যোগাযোগের জন্য এসওএস থাকতে হবে। প্রতিটি যাত্রায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চালক ও যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য অ্যাপটিতে বিশেষ বিধান থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও যোগ করা হয়েছে।
উবার ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অর্পিত মুন্ড্রা জানান, ২০১৭ সালে ঢাকায় উবারে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৬৯৫টি ট্রিপ নিয়েছেন। মোট অতিক্রম করেন ঢাকা থেকে টোকিওর দূরত্বের সমান দূরত্ব। একজন চালক ঢাকায় মোট তিন হাজার ৩৫০টি ট্রিপ দিয়েছেন। ঢাকায় নতুন বছরের প্রাক্কালে উবার ১২ হাজারেরও বেশি ট্রিপ শেষ করেছে। ঢাকা থেকে আয়ের অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে উবার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে জবাব মিলছে না।
ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধনের মাধ্যমে উবারের চালক হয়ে যেতে পারেন। ঢাকায় উবারে যখন কেউ গাড়ি ডাকেন, তখন চালক অনুরোধে সাড়া দেওয়ামাত্রই তাঁর নাম, ছবি, রেটিং, গাড়ির লাইসেন্স নম্বর যাত্রীর স্মার্টফোনে ভেসে ওঠে; চালকও যাত্রীর নাম ও রেটিং দেখতে পান। দ্রুত যোগাযোগের ফলে অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা বিস্তৃত হচ্ছে।
‘চলো’ নামের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া গাড়ির জন্য তাদের সেবা চালু করেছে। রয়েছে কলসেন্টার। চলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান শুভ বলেন, নীতিমালায় যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে নয়, লাইসেন্সের বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এটি তাই অপূর্ণাঙ্গ। লভ্যাংশ বিদেশে পাচার নিয়ে সরকারি নীতিমালায় কোনো অনুচ্ছেদ নেই।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখতে পারে। আমেরিকাভিত্তিক ডাটা ভক্সেল ইনকরপোরেটের সহযোগিতায় ডাটা ভক্সেল লিমিটেড ঢাকায় অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলসেবা দিচ্ছে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর থেকে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা চলছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0d999d6b-6437-430a-b173-422fb277c3da | আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা ভাষায় পড়ালেখাবিষয়ক একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফ গত অক্টোবর মাসে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে চার থেকে ১৪ বছর বয়সী ১৫ হাজার শিশুকে বাংলা ও বার্মিজ ভাষায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার বিরোধিতা করে জবাব পাঠায়।
জানা গেছে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে লেখেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাই তাদের বাংলা ভাষায় নয়, বার্মিজ ভাষায় শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে বার্মিজ ভাষায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনে ইউনিসেফের প্রস্তাব বিবেচনার পক্ষে মত দেন।
সরকারি অন্য সূত্রগুলোও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ওই অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যেসব কারণে রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি’ অভিহিত করার চেষ্টা চালায় সেগুলোর অন্যতম হলো কক্সবাজার অঞ্চলের স্থানীয় ভাষার সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ভাষাগত সাদৃশ্য। বাংলাদেশ চায়, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিজ বসতভূমিতে ফিরে যাবে। এখন তাদের বাংলা ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হলে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনাসহ নতুন করে আরো অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব জটিলতা এড়াতে তাদের বাংলা ভাষা শেখানো ও বাংলা ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম না চালানোই মঙ্গল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমারের বাসিন্দা, তাই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ওই দেশের ভাষায়ই (বার্মিজ) হওয়া উচিত। বর্মী ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলে মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে ওই দেশটির অন্য জনগণের সঙ্গে তাদের মিশতে সহজ হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আসছে। তবে সেগুলো গ্রহণ করার আগে সম্ভাব্য প্রভাব যাচাই করা অপরিহার্য। সরকার সতর্কতার সঙ্গে তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ছয় লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার উল্লেখযোগ্য অংশই শিশু। রোহিঙ্গা শিশুদের ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউনিসেফ গত অক্টোবর মাসেই ‘চাইল্ড অ্যালার্ট’ জারি করেছে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেরই অভিভাবক তাদের সঙ্গে নেই। মিয়ানমার বাহিনীর বর্বরতায় তারা পরিবার-পরিজনকে হারিয়েছে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের পরিচয় যাচাই করে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম বলেছেন, গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি সইয়ের দুই মাসের মধ্যেই প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ওই সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ ২২ জানুয়ারির মধ্যেই প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছে যে পাঁচ থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। তবে আমাদের হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। গত ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ বিদেশিদের কাছ থেকে সুবিধা নিতে চায় না। কেবল মানবিক কারণেই প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। এই মানবিক বিষয়টির জন্য বিশ্বের শতভাগ রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে আছে। কেউ যদি না থাকে তবে আমাদের কিছু আসে যায় না।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
a73956ea-b86b-44fb-bc15-b6b8d5efda6a | তিন বছর আগে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসে ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলায় যান। এই তিন জেলার কয়েক শ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পোশাকশিল্প খাতে কর্মরত হাজারো শ্রমিকের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের এক সদস্য ২০১৫ সালের ওই ঘটনার স্মৃতিচারণা করে বলেন, এরপর এই তিন জেলার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পোশাকশিল্প খাতে কর্মরত শ্রমিকদের আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দুই কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় আইডিবি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬০ কোটি টাকা। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সরকারের সঙ্গে আইডিবির চুক্তিও সই হয়।
চুক্তি সইয়ের পর প্রায় দুই বছর পার হতে চললেও ভবন নির্মাণের কাজ শুরু তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত ‘সাসটেইনেবল হাউজিং ফর লো ইনকাম আরবান কমিউনিটিজ’ শিরোনামের প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনই পায়নি। প্রকল্পটি থেকে অবশেষে প্রতিশ্রুত ঋণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিবি। সংস্থাটির নতুন প্রেসিডেন্ট বান্দার এম এইচ হাজ্জার ঘোষণা দিয়েছেন, আইডিবির ৫৭টি সদস্য দেশে যতগুলো প্রকল্প স্থবির হয়ে আছে, সব প্রকল্প থেকে অর্থায়ন বাতিল করা হবে। বাংলাদেশ সরকারকেও ঘোষণাটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইডিবির এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় থাকা বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ)। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পোশাকশিল্প শ্রমিকদের স্বপ্নের আবাসনও ঝুলে গেল। এখন প্রতিদিন যেমন তাদের মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে, শিগগিরই এর কোনো পরিবর্তন আসছে না। অথচ এত দিন তারা স্বপ্নে বিভোর ছিল।
শুধু পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পোশাক শ্রমিকদের আবাসন প্রকল্পই নয়, রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে নিম্নবিত্ত কৃষকদের সেচ উন্নয়ন, হাটবাজার উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তিন কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইডিবি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৭২ কোটি টাকা। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি স্থবির। তাই এই প্রকল্প থেকেও প্রতিশ্রুত ঋণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিবি।
বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের হয়রানি দূর করতে প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের জন্য ২০১৫ সালে সাড়ে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইডিবি। কিন্তু গত তিন বছরে এই প্রকল্পেও কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে প্রকল্প থেকেও প্রতিশ্রুত এক হাজার ২৪০ কোটি টাকা বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছে আইডিবি। তিনটি প্রকল্পই এখন পর্যন্ত একনেক সভায় অনুমোদন পায়নি। সব মিলিয়ে তিন প্রকল্পে ২১ কোটি ডলার বা এক হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বাতিল করতে যাচ্ছে আইডিবি।
সংস্থাটি বলেছে, শুধু বাংলাদেশের বেলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি; আইডিবির ৫৭টি সদস্যের জন্য এমন ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুক্তি বাতিলের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে আইডিবি বলেছে, বাজার থেকে টাকা তুলে তারা তিনটি প্রকল্পের জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে রেখেছে। এই অর্থ তিন বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। অর্থ খরচ না হওয়ায় তাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত। সংস্থাটি জানায়, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আইডিবিকে অনুরোধ জানানো হলেও এটা করার কোনো সুযোগ নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তিন প্রকল্পে তিন ধরনের সমস্যা ছিল। তবে সার্বিকভাবে বলা যেতে পারে, মন্ত্রণালয়গুলোর অদক্ষতা ও সক্ষমতার অভাবে এখন নিম্নবিত্তদের জন্য বরাদ্দকৃত এত টাকা বাতিল হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সমস্যা দুই দিকেই আছে। শুধু বাংলাদেশের দোষ নয়; তাদেরও কিছু সমস্যা আছে। তা ছাড়া আইডিবিতে এখন কিছু সংস্কার চলছে। তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছে।’ শফিকুল আযম আরো বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের বেলায় নয়; আইডিবির সদস্য ৫৭টি দেশে স্থবির থাকা প্রকল্প থেকে অর্থায়ন বাতিল করতে যাচ্ছে আইডিবি। এর মধ্যে বাংলাদেশের তিনটি প্রকল্পে ২১ কোটি ডলারের মতো বাতিল হতে চলেছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর এই তিন জেলায় ‘সাসটেইনেবল হাউজিং ফর লো ইনকাম আরবান কমিউনিটিজ’ শিরোনামের প্রকল্পটির আওতায় নিম্নবিত্ত ৮৫০টি পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা। এ ছাড়া কালিয়াকৈরে পাঁচটি ডরমিটরি নির্মাণ করে সেখানে প্রায় দুই হাজার পোশাক শ্রমিকের থাকার সুযোগ করে দেওয়ার কথা এই প্রকল্পের আওতায়। আবাসনব্যবস্থার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডে কেয়ার সেন্টার তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে চলেছে। অভিযোগ আছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (বিএমডিএফ) দক্ষ জনবল নেই। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাও তাদের নেই।
এই প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ জামান তারিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আপনি যেমন আইডিবির ঋণ বাতিলের কথা শুনেছেন, আমরাও শুনেছি। তবে সংস্থাটি এভাবে হুট করে চুক্তি বাতিল করতে পারে না। তারা একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছে।’ কেন প্রকল্পটি এখনো প্রণয়ন হয়নি—এ প্রশ্নের জবাবে জামান তারিক বলেন, ‘প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। সারা দেশে এ ধরনের প্রকল্প আর আছে কি না এমন তথ্য পেতে পেতে এবং আরো কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে করতে কিছু সময় বেশি লেগেছে। সে কারণে প্রকল্পটি এখনো একনেক সভায় পাঠানো যায়নি।’ চলতি মাসের মধ্যে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুতের সিস্টেম লসের অভিযোগ বহু পুরনো। তা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ আছে অহরহ। বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এমন অভিযোগও বিস্তর। বিদ্যুতে সিস্টেম লস কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের হয়রানি কমাতে প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের জন্য ২০১৫ সালে সাড়ে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইডিবি। এই প্রকল্পও একনেক সভায় অনুমোদন পায়নি। প্রি-পেমেন্ট মিটারিং কেনা নিয়ে আইডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বনিবনা না হওয়ার কারণে এই প্রকল্পে অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।
রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর গ্রামীণ হাটবাজার, সেচব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পটিতে গত বছর মে মাসে আইডিবির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছিল সরকারের। কিন্তু প্রকল্পটি একনেক সভায় এখনো আসেনি। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ স্বার্থ হাসিলের কারণে প্রকল্পটি স্থবির হয়ে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে স্থবিরতার অভিযোগ তুলে তিন প্রকল্প থেকে এক হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বাতিল করতে যাচ্ছে আইডিবি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
7d5d0896-c31c-4c45-a43d-ce12ede68b1e | দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রভাব ক্ষীণ। তা সত্ত্বেও ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে আইএসের বৈশ্বিক পদচিহ্নের ছায়া দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর আইএসপন্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ‘আইসিস খোরাসান’ মানচিত্রে এ অঞ্চলে আইএসের খেলাফত গড়ার প্রচেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে।
ইরাক ও সিরিয়ায় পিছু হটার পর আইএস আগামী দিনে কী রূপে আত্মপ্রকাশ করে তা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রভাবশালী নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ওআরএফের তথ্য অনুযায়ী, আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতে প্রায় ৮২টি মামলা চলমান আছে। তাদের মধ্যে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান বা লিবিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিতে আগ্রহের কথা অনলাইনে লিখেছে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে। আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইরাক, সিরিয়া বা আফগানিস্তানে আইএসের জন্য অর্থ পাঠানোর অভিযোগ আছে।
তবে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান জনগোষ্ঠীর ভারতে আইএসের জিহাদি পরিকল্পনা বা খেলাফতকে সেখানকার মুসলমানরা সমর্থন করেনি।
আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে আইএসের প্রভাব জোরালো এবং একে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওআরএফের প্রতিবেদনে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। আইএসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ওই হামলায় ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
সাবেক এক সামরিক কর্মকর্তা তাঁর নিজের পরিবারের একজন সদস্যের আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়ার কথা ওআরএফের গবেষককে জানিয়েছেন।
ওআরএফের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান পরিস্থিতি আরো অনেক জটিল। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী (ডুরান্ড লাইন) নিয়ন্ত্রণহীন এলাকায় আইএসের অস্তিত্ব আছে। ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসানের (আইএসকেপি) বেশির ভাগ যোদ্ধাই পাকিস্তানি তালেবানের (টিটিপি) সাবেক সদস্য। ফাতা ও ওয়াজিরিস্তানের মতো উপজাতি এলাকায় পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে তারা পালিয়েছে। আফগানিস্তানে রাজনৈতিক শূন্যতা এবং সামাজিক-ধর্মীয় বিভাজন আইএসের বিকাশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
ওআরএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রগুলোর স্থানীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক জটিলতার কারণে আইএসের প্রভাব একেক স্থানে একেক রকম। আগামী কয়েক মাসে আইএস আরো বেশি জঙ্গি-সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারে।
কিছু গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আইএস নেতারা গোপনে অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে ইরাক ও সিরিয়ার বাইরে অর্থ পাঠাচ্ছে। তেল চোরাকারবারির মাধ্যমে দৈনিক ১০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি আয় এগুলোর অন্যতম। ইরাক ও সিরিয়া এবং ওই দুই দেশের বাইরে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা চালাতে আইএস ওই অর্থ জোগাড় করছে। অন্যদিকে আইএসের নেতৃত্ব দেওয়া ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্টারনেট আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে থাকছে।
ওআরএফের মতে, আইএসের ঝুঁকি মোকাবেলায় মাঠপর্যায়ের পাশাপাশি আইএসপন্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যাংকিং, ভ্রমণ ও অন্যান্য বিষয়ে রাষ্ট্রগুলোর নজরদারি থাকা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে ভারত তার দেশের লোকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএসপন্থী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা দিতে পারে। তবে পাকিস্তান নিজেই রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস চালানোয় তাকে নিয়ে আঞ্চলিক উদ্যোগ কত দূর সম্ভব তা নিয়েও শঙ্কা আছে বলে মন্তব্য করেছে ওআরএফ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
b7376e9b-0fe7-4688-93a2-8b5b69998361 | টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার ৫৩তম আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশ, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিসসহ সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জোন-১-এর টঙ্গী কার্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল রবিবার বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে সর্বশেষ প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল। সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ফজলুল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, ড. রফিক উদ্দিন, রফিকুল ইসলামসহ বিশ্ব ইজতেমার কাজে নিয়োজিত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় প্রশাসন, এলজিইডি, বিআরটিসি, বিআইডাব্লিউটিএ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, রেল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতিকাজের প্রায় ৯০ শতাংশ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা বিভাগের মুসল্লিদের খিত্তার কাজটুকু কেবল বাকি। সেসব কাজ সংশ্লিষ্ট খিত্তার মুসল্লিরাই করে থাকেন এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আরেক শীর্ষ মুরব্বি রফিকুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা ময়দানে দিল্লির মাওলানা সা’দ সাহেবের মতো লোকদের আসতে দেওয়া না হলে এটা আর বিশ্ব ইজতেমা হবে না। আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার কাজে আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। ময়দানের অভ্যন্তরে যা হয় তা পুরোপুরি ইজতেমা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকে।’ উপস্থিত শীর্ষ মুরব্বিদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে কে আসবেন না আসবেন তা পুরোটাই আপনাদের বিষয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপনারা যাঁদের তালিকা দেবেন সে অনুযায়ী মুরব্বিরা আসবেন। বিশ্ব ইজতেমায় মুরব্বিদের আসা নিয়ে কারো ওপর দোষ না চাপানোর অনুরোধ করছি। তবে রোহিঙ্গারা যাতে কোনোক্রমেই ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।’ পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে প্রথম পর্বে সাড়ে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ময়দানের প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে স্থাপিত র্যাবের ৯টি ও পুলিশের ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা দানে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট টঙ্গী সরকারি হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
8dbf84ec-b0c2-47ca-a7f8-dda4e0aec96f | কোনো দপ্তরপ্রধান সাধারণত নিজের শেষ কার্যদিবসে বদলির কোনো নথিতে সই করেন না। যুগ যুগ ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান তাঁর শেষ কার্যদিবসে সেই রেওয়াজ ভঙ্গ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর শেষ কার্যদিবস। ওই দিন তিনি ৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলির আদেশ অনুমোদন করেছেন। এ ছাড়া শেষ দিনে কেনাকাটারও বেশ কিছু নথি অনুমোদন করেছেন তিনি। এসব বদলি ও কেনাকাটার সঙ্গে অনৈতিক লেনদেন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন অনেক কর্মকর্তা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে যেসব মহাপরিচালক চাকরি শেষ করেছেন, তাঁদের শেষ দিনে বদলির আদেশ দেওয়ার রেকর্ড নেই। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেসব সচিব এর আগে অবসরে গেছেন, তাঁরাও শেষ দিনে বদলি বা পদোন্নতির কোনো নথিতে সই করেননি।
জানা যায়, বদলির নথিতে যেদিন সই হয় সেদিনই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার যেসব বদলি হয়েছে, তা ওই দিন ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করে গতকাল রবিবার দেওয়া হয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে অনৈতিক লেনদেনের সন্দেহ আরো গভীর হয়েছে।
মাউশি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহাপরিচালকের শেষ কার্যদিবসে ২৯ জন কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। একই দিনে সরকারি কলেজের ২৫ জন শিক্ষক, আটজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ১৫ জন সহকারী শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর ১৯ জন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ২৬ ডিসেম্বর বিসিএস ক্যাডারের ১৯ কর্মকর্তা, ২২ ডিসেম্বর ৬৪ জন কর্মচারী, ২১ ডিসেম্বর বিসিএস ক্যাডারের ১৯ কর্মকর্তা, ১৪ ডিসেম্বর ১৭ জন কর্মচারী, ৭ ডিসেম্বর চার কর্মকর্তাসহ আরো বেশ কয়েকজনকে বদলি করা হয়। অর্থাৎ মহাপরিচালকের শেষ কর্মমাসেও তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়, যা অন্যান্য মাসের তুলনায় রেকর্ড বলে জানিয়েছেন মাউশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বদলির আদেশে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের অর্থাৎ সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বদলি করে কলেজ শাখা। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করে মাধ্যমিক শাখা। আর মাউশি অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা বদলি করে উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সব পর্যায়ের কর্মচারীদের। এই বদলিতেই মূলত ব্যাপক লেনদেন হয়।
জানা যায়, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলির নথিতে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ জাকির হোসেনের সই থাকলেও তিনি রুটিন ওয়ার্ক করেন। একটি সিন্ডিকেটের অধীনে এই বদলি হয়। এর পেছনে মূল কলকাঠি নাড়েন প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি ও মহাপরিচালকের পিএ মাসুদ পারভেজ। একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর তিন বছর পর বদলি হওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা দুজনই পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এই দপ্তরে রয়েছেন। এ ছাড়া প্রশাসন শাখার কয়েকজন কর্মচারী এই সিন্ডিকেটে জড়িত। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বদলির সিন্ডিকেটের মূল হোতা মাধ্যমিক শাখার একজন উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালক। আর কলেজ শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে একজন সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
মহাপরিচালকের শেষ কার্যদিবসে বিপুলসংখ্যক বদলির বিষয়ে অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটা রুটিন ওয়ার্ক। আর মহাপরিচালক চেয়েছেন তিনি বদলি করেছেন। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা মহাপরিচালককে বলেছিলাম, তাঁর শেষ দিনে যেন তিনি বদলির আদেশে স্বাক্ষর না করেন। এতে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু এর পরও এত বদলি কিভাবে হলো, তা বলতে পারব না। তবে এটা একেবারেই শেষ সময়ে হয়েছে।’
অভিযোগ রয়েছে, মাউশির প্রশাসন শাখার কিছু কর্মকর্তা গত শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস করেছেন। অনেক কর্মচারীর বদলির ফাইল বৃহস্পতিবারের তারিখ দিয়ে আসলে গত শনিবার সই হয়েছে। তাই গত বৃহস্পতিবার তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমপিওর ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তাই এসব পদে বদলির রেটও অনেক বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই দুই পদে বদলির ক্ষেত্রে দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকা লেনদেন হয়। এরপর কর্মচারী বদলিতেও এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। আর কর্মচারীরা যদি আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে বদলি হতে চান সে ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ থেকে সাত লাখ টাকাও অনৈতিক লেনদেন হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e1209f1d-ff7b-494b-a385-744cb201acf9 | ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজক হতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে ফ্রান্স। ফরাসি সরকারের পরামর্শক ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) সাবেক মহাপরিচালক ড. প্যাসকেল লেমি গতকাল রবিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ওই সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। অন্যদিকে প্যাসকেল লেমিও গতকাল বিকেলে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর দেশের প্রার্থিতা, লক্ষ্য ও প্রত্যাশার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব বিষয়ে অবগত। ফ্রান্স মনে করে, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চলছে। এ সংকট সমাধানে আরো রাজনৈতিক চাপ প্রয়োজন।
প্যাসকেল লেমি জানান, ওয়ার্ল্ড এক্সপো একটি বড় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। সেখানে আয়োজক দেশ তার অর্জনগুলো তুলে ধরার সুযোগ পায়। ১৯২৮ সালের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী সম্পর্কিত কনভেনশন অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন ব্যুরো এ প্রদর্শনী দেখভাল করে থাকে। প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন ব্যুরোর ১৭০টি সদস্য রাষ্ট্র ভোটের মাধ্যমে প্রদর্শনীর আয়োজক নির্ধারণ করে থাকে। বাংলাদেশও ওই ব্যুরোর সদস্য। আগামী নভেম্বর মাসে ব্যুরোর ১৬৪তম অধিবেশনে ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজক নির্ধারণে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফ্রান্স গ্রেটার প্যারিসে ২০২৫ সালের প্রদর্শনী আয়োজনে আগ্রহী। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজক হিসেবে অপর তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলো জাপান (ওসাকা), রাশিয়া (অ্যাক্টরিনবার্গ) ও আজারবাইজান (বাকু)।
এক্সপো ২০২৫ আয়োজনের লড়াইয়ে ফ্রান্সের মতো তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে প্যারিসকে কেন ঢাকা সমর্থন দেবে জানতে চাইলে প্যাসকেল লেমি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সাল ও এর পরবর্তী সময়ের জন্য যেসব লক্ষ্য ঠিক করেছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের লক্ষ্য প্রাসঙ্গিক। ফ্রান্স এক্সপো ২০২৫ আয়োজন করলে বাংলাদেশও লাভবান হবে। ফ্রান্সের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্যাসকেল লেমি প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে ফ্রান্স ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘ভাগাভাগির জন্য জ্ঞান, পরিচর্যার জন্য বিশ্ব’।
প্যাসকেল লেমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা কয়েক বছরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশটি এখন নীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাবনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে এ ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরির পদক্ষেপ হিসেবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান কোর্স চালু করেছে।
শেখ হাসিনা তাঁর সাম্প্রতিক ফ্রান্স সফরের কথা স্মরণ করে একজন তরুণ ও উদ্যমী নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্যাসকেল লেমির সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
প্যাসকেল লেমি ফ্রান্স দূতাবাসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ফ্রান্সের প্রার্থিতার জন্য সমর্থন চাইতে তিনি গত নভেম্বর মাস থেকে ১৫টি দেশ সফর করেছেন। দুই দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে গত রাতেই তিনি ঢাকা ছাড়েন।
ফ্রান্স দূতাবাসের অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর প্রার্থিতার পক্ষে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মো. মনিবুর রহমানও বক্তব্য দেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d6b5719c-ec1d-41ff-a5e3-32be4469db66 | ফসলি জমি রক্ষার লক্ষ্যে আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আইন হলে ফসলি জমি নষ্ট করে বাড়ি বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। পূর্তমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন থেকে উঁচু বিল্ডিং নির্মাণ করে সবার বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে। রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে আরো ১৪ হাজার ৫০০ এবং পূর্বাচল প্রকল্পে ৭০ হাজার ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকের ফ্ল্যাট আইডি প্রদানসংক্রান্ত লটারি অনুষ্ঠানে গৃহায়ণমন্ত্রী এসব কথা জানান। উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের দুই হাজার ৬২১ জন গ্রহীতাকে লটারির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম, এ কে এম ফজলুল হক এমপি, নূর-ই-হাসনা লিলি এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।
রাজউক জানায়, উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ১৮ নম্বর সেক্টরে এক হাজার ৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের মোট ফ্ল্যাটের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৩৬টি। ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৪টি। ফ্ল্যাট গ্রহীতা চার কিস্তি টাকা পরিশোধ করেছেন এক হাজার ৮৩২ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হস্তান্তর উপযোগী ৮৪০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে তিনটি ফ্ল্যাট আইডি এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী তিনজনকে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮৩৭টি ফ্ল্যাটের আইডি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রথম লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রাজধানীর সব বস্তিতে উঁচু বিল্ডিং করে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৫৫০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ২০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হলে সব বস্তিবাসীকে ভাড়াভিত্তিক উন্নত বসবাসের ব্যবস্থা করা যাবে।’
মন্ত্রী জানান, ‘ঝিলমিলে প্রাথমিকভাবে ১৪ হাজার ৫০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্বাচলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১০০টি ইকোনমিক জোনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বানাতে হবে। এ ছাড়া গ্রামে যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে বর্তমান আবাসিক স্থলে উঁচু বিল্ডিং বানাতে হবে। আর ফসলি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বলেন, উত্তরা অ্যাপার্টমেন্টের সব রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগিরই রাস্তা নির্মাণ হয়ে যাবে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের যোগাযোগ সহজ করার জন্য উত্তরা জসিমউদ্দীন সড়কের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মিরপুরের সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হবে। পূর্বাচল প্রকল্পের ভেতরে মেট্রো রেলের কাজ চলছে, যা উত্তরা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যাবে। এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় আর কী দরকার এ বিষয়ে ফ্ল্যাটের মালিকদের জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান।
এক হাজার ৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের ২০১৩ সালে প্রথম পর্যায়ে যারা ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চার কিস্তি মূল্য পরিশোধ করেছেন তাঁদেরকে আইডি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ৯৬ একর জমিতে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ বছর মেয়াদি ৮.৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটে তিনটি বেডরুম, একটি লিভিংরুম, একটি ডাইনিংরুম, একটি ফ্যামিলি লিভিং, চারটি বারান্দা, চারটি টয়লেট ও কিচেন রয়েছে। এ ছাড়া ২০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উন্নতমানের লিফট রয়েছে। ভবনে একটি প্রধান সিঁড়ি ও দুটি অগ্নিনির্বাপক সিঁড়ি রয়েছে।
প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকের প্রতিটি ভবনে একটি বেসমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ১৪টি ফ্লোর রয়েছে। ১৪টি ফ্লোরের প্রতিটিতে নেট এক হাজার ২৭৬ বর্গফুটের (গ্রস এক হাজার ৬৫৪ বর্গফুট) ছয়টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ভবনে ৮৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বর্তমানে স্বল্পসংখ্যক ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের করা যাবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে চার হাজার ৮০০ টাকা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
5023c340-5c26-42a9-92c5-6357a0a1963c | সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম (শীতকালীন) অধিবেশন শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। এই অধিবেশন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে অধিবেশনজুড়ে সাধারণ আলোচনা হবে। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা ৪৫ ঘণ্টা আলোচনা করবেন। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে এই অধিবেশন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে প্রয়োজন হলে অধিবেশনের মেয়াদ স্পিকার বাড়াতে বা কমাতে পারেন। একই সঙ্গে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় অধিবেশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য তিনি পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন কর্নেল (অব.) ফারুক খান, পঞ্চানন বিশ্বাস, বি এম মোজাম্মেল হক, মো. ফখরুল ইমাম ও বেগম সায়েরা মহসিন। পরে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
মুলতবি শেষে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি স্পিকারের পাশে নির্ধারিত ডায়াসে দাঁড়িয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভাষণ দেন। রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-সাফল্যে ও দেশের অগ্রগতির বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় মুহুর্মুহু টেবিল চাপড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
এই অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। সংসদ পর্যবেক্ষণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াতকে ছাড়াই এই সংসদ যাত্রা শুরু করে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে জাতীয় পার্টি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
be8ace1a-11d4-4281-8f77-b89b44f150e6 | রাজধানীর পল্লবী থানা লাগোয়া একটি মাধ্যমিক স্কুলের পাশেই সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে ফেলে রাখা হয়েছে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক বেশ কিছু গাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকায় সেগুলোর গায়ে জমেছে ধুলার স্তর। খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পড়ে থেকে মরিচা ধরেছে ধাতব যন্ত্রাংশগুলোতে। বসে গেছে চাকাগুলো। বাসা বেঁধেছে ইঁদুর আর পোকা-মাকড়। সন্ধ্যার পর সেখানে বসছে বখাটে মাদকাসক্তদের আড্ডা। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল করে জব্দ করা গাড়ি ফেলে রেখে এভাবে নানামুখী ভোগান্তি সৃষ্টি করায় চরম বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। অথচ পুলিশের জব্দ করা এসব গাড়ি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত।
সাধারণত চোরাই, দুর্ঘটনাকবলিত, কাগজপত্রবিহীন বা মাদকবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত যানবাহন আটক করে থাকে পুলিশ। মামলা হওয়ার পর আলামত হিসেবে গাড়িগুলো আদালতের নির্দেশে থানায় রাখা হয়। আর এসব গাড়ির সংখ্যা ক্রমে বাড়তে বাড়তে থানা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের বিশাল এলাকা হয়ে পড়ে গাড়ির ভাগাড়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আওতায় মহানগরীর ৪৯টি থানার চিত্রই অনেকটা শুধু পল্লবী থানার মতো। এসব থানা প্রাঙ্গণে জব্দ করা পাঁচ হাজারের বেশি যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক গাড়ি অযত্ন-অবহেলায় রোদ-বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে দামি প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু দেখভাল না করায় থানা প্রাঙ্গণের সংশ্লিষ্ট জায়গা পরিণত হয়েছে গাড়িগুলোর ডাম্পিং জোনে। ময়লার স্তূপে ফেলে রাখা দামি গাড়িগুলোর কোনোটির চাকা, কোনোটির যন্ত্রপাতি, কোনোটির ইঞ্জিনই চুরি হয়ে গেছে।
থানাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, জব্দ করা অনেক গাড়িরই শুধু বডি পড়ে আছে। ভেতরের যন্ত্রপাতি সব গেছে চোরের পেটে। আর ফোকলা বডি হয়েছে ইঁদুর ও নানা প্রজাতির পোকা-মাকড়ের বসতি। বংশ বিস্তার করছে মশা-মাছি। বেশির ভাগ থানা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে হওয়ায় জব্দ করা গাড়ির জঙ্গল জনদুর্ভোগেরও কারণ হয়ে উঠেছে।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত এভাবে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিটি থানা পুলিশের কাছ থেকে প্রায় অভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। তারা বলছে, ‘জব্দ করা গাড়িগুলো গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত। মামলার নিষ্পত্তি হলেই মালিকের কাছে গাড়িগুলো হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির আটটি ক্রাইম জোনের উপকমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার ত্বরিত সমাধানের কোনো আশ্বাস মেলেনি।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হলেই কেবল গাড়িগুলো নষ্ট হবে না। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, মামলা নিষ্পত্তির পাশাপাশি নিলাম জটিলতারও অবসান ঘটাতে হবে।
সরেজমিন চিত্র : পল্লবী থানা লাগোয়া ‘রেনেসাঁ জুনিয়র হাই স্কুল’। আবাসিক এলাকার আশপাশে অনেক বহুতল ভবন। এলাকায় রয়েছে জরুরি ওষুধের দোকান, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের চেম্বারসহ বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান। এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য থানা লাগোয়া গলিসদৃশ একটিমাত্র রাস্তা। ব্যস্ত রাস্তার অর্ধেকের বেশি জুড়ে আছে পুলিশের জব্দ করা নানা ধরনের গাড়ি। এর মধ্যে ‘প্রজাপতি পরিবহনের’ একটি বাসও রয়েছে। এই বাসের কারণে স্কুলে প্রবেশের রাস্তা অনেকটা সরু হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বাসটিতে জন্মেছে আগাছা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
bfda69a0-14c7-4520-a942-75742d2e2b17 | চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরেক আসামি নওশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল রবিবার নগরীর আতুরার ডিপো এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নওশাদ উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের নজিবুর রহমানের ছেলে।
পিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে নওশাদ ওই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নওশাদের উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক জানান, রবিবার গ্রেপ্তারের পর নওশাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ ফেলার জন্য ব্যবহৃত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।
আবু জাফর মো. ওমর ফারুক আরো জানান, গত বছরের ৭ মে বিকেলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা এনামকে। দুই দিন পর ৯ মে সন্ধ্যায় জাফতনগর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে এনামের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এনামের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ও জেলার গোয়েন্দা পুলিশ দুই মাস তদন্তের পরও হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
গ্রেপ্তারকৃত নওশাদ পিবিআইকে জানায়, গত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন এনাম। এ কারণে প্রতিপক্ষের সুজনের পরিকল্পনায় এনামকে হত্যা করা হয়।
সেদিনের বর্ণনা দিয়ে নওশাদ জানায়, গত ৭ মে বিকেলে সুজন তাকে ফোন করে বাসায় যেতে বলেন। সঙ্গে অটোরিকশাচালক বেলালকেও নিতে বলা হয়। পরে সুজনের বাসায় যায় নওশাদ। সেখানে গিয়ে এরশাদ ও ফারুককে দেখতে পায় সে। এরপর সুজন ফোন করে এনামকে তাঁর বাসায় ডাকেন। কিছুক্ষণ পর এলে এনামকে সুজনের দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে বসতে বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে সুজন তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর বেলাল, এরশাদ, ফারুক ও নওশাদ মিলে এনামের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। ফারুক রশি দিয়ে এনামের হাত-পা বেঁধে ফেলে। বেলাল ও নওশাদ গলা টিপে ধরলে এনাম ধস্তাধস্তি করেন। তখন এনামের বুকে চেপে বসে নওশাদ। এ সময় সুজন পা দিয়ে গলা চেপে ধরলে এনাম আর নড়াচড়া করতে পারেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এনামের মৃত্যু হয়।
নওশাদের উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক আরো বলেন, এনামের মৃত্যুর পর সুজন গিয়ে পাশের তৌকিরহাট বাজার থেকে একটি চটের বস্তা কিনে আনেন। ওই বস্তায় এনামের মরদেহ ভরেন সুজন ও ফারুক। পরে মধ্যরাতে অটোরিকশায় তুলে মরদেহ নিয়ে নিশ্চিতপুর এলাকার ব্রিজের নিচে ফেলা হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
931fbb88-8d4c-4008-9669-f033517f9ffa | দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে একের পর এক মারা পড়ছে ডলফিন। গত তিন মাসে এখানে ১৫টি ডলফিন মরে ভেসে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নদীতে চলাচল করা যান্ত্রিক নৌকার প্রপেলারে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যাচ্ছে ডলফিনগুলো। এ অবস্থায় বিপন্ন প্রজাতির ডলফিনগুলো রক্ষায় হালদা নদীকে ডলফিনের অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের গচ্ছাখালী খালে মাস্টারবাড়ির কালভার্টের নিচ থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে একই ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকায় আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া হয়।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত তিন মাসে হালদা নদীতে ১৫টি ডলফিন মরে ভেসে ওঠার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। বালু তোলার ড্রেজার বা যন্ত্রচালিত বড় নৌযানের প্রপেলারের আঘাতে ডলফিনগুলো মারা পড়ছে। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির তথ্য মতে, উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনগুলো অতি বিপন্ন প্রজাতির। মিঠা পানির এই প্রজাতির ডলফিনের সংখ্যা সারা বিশ্বে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০টি। এর মধ্যে হালদা নদীতেই রয়েছে ২০০ থেকে ২৫০টির মতো। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হালদায় মিঠা পানির প্রচুর ডলফিন রয়েছে। হঠাৎ করে নদীতে ডলফিন মারা যাওয়ার ঘটনায় মৎস্য অধিদপ্তর উদ্বিগ্ন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনগুলো যান্ত্রিক নৌকার আঘাতে মারা যাচ্ছে। এর বাইরে রোগাক্রান্ত হয়ে ডলফিনগুলোর মৃত্যু হচ্ছে কি না, তাও পর্যবেক্ষণ করছি। তবে গবেষকদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। এত ডলফিন মারা গেলে আমরাও খবর পেতাম।’ তিনি জানান, হালদা নদীসংলগ্ন উপজেলাগুলোর স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের ফলে দীর্ঘদিন ধরে হালদায় ড্রেজিং বন্ধ রয়েছে।
অবশ্য রবিবার হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে বালুবোঝাই অসংখ্য যান্ত্রিক নৌকা চলাচল করছে। নৌকাগুলো নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালু খালাস করছে।
হাটহাজারী-রাঙামাটি সড়কের হালদা ব্রিজসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, বালুবোঝাই এসব নৌযানের কারণে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রখ্যাত হালদায় মাছ কমে গেছে। সেই সঙ্গে যান্ত্রিক নৌকার প্রপেলারে আঘাত পেয়ে মারা পড়ছে ডলফিন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়া উচিত। গড়দুয়ারা ইউনিয়নের গচ্ছাখালী খালের মাস্টারবাড়ি এলাকার তামিম জানান, গত শুক্রবার উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সাত ফুট লম্বা ডলফিনটির ওজন ছিল প্রায় ৮০ কেজি।
স্মৃতিচারণা করে একই এলাকার বাসিন্দা মুন্না বলেন, হালদায় আগে অনেক শুশুক (ডলফিনের স্থানীয় নাম) দেখা যেত। এখন আর সেভাবে সেগুলোর দেখা মেলে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ওদের দেখা মেলে না। আবার জেলেদের জালেও আটকা পড়ছে শুশুক। নদীতে যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মাছ ও শুশুক দুই-ই কমে গেছে।
ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, যান্ত্রিক নৌকা চলাচল এবং স্লুইস গেটের মাধ্যমে নদী ও শাখা খালে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করায় হালদা নদীতে ডলফিন কমে গেছে। আমরা (হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি) ছয় মাস ধরে হালদার ডলফিন নিয়ে গবেষণা করছি। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হালদা নদী ও শাখা খালগুলোতে গত তিন মাসে প্রায় ১৫টি ডলফিন মারা গেছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে হালদা নদী রক্ষার তাগিদসহ এই নদীকে ডলফিনের অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি জানাই।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, হালদা নদী ও বিভিন্ন শাখা খালে (রাউজান-হাটহাজারী এলাকায়) মোট ২২টি স্লুইস গেট রয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ae9cde76-7881-4249-8192-4bb2aad3f698 | ৮০ কোটি টাকায় বেসিক ব্যাংকের জন্য মতিঝিলে একটি ভবনের ১২টি ফ্লোর কেনার সঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে কি না তা তদন্ত করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ভবনের নির্মাণকাজে অগ্রগতির আগেই ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে জড়িতদের কেন্দ্র করে এ তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশনে বা ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে। এ ছাড়া, সময়মতো ভবনের দলিল ও স্পেসের রেজিস্ট্রেশন ও দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করবে বেসিক ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ উদ্যোগ নিচ্ছে ব্যাংকটি। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মতিঝিলে নির্মাণাধীন ১৫ তলা ‘জামান বেসিক ব্যাংক টাওয়ার’-এর প্রথম ১২ তলা পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের ফ্লোর ৮০ কোটি টাকায় কেনার চুক্তি হয় ২০১০ সালে। ওই দিন ৪০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন সময় কিস্তিতে আরো ৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে জমির মালিক ও ভবন নির্মাতা সিঙ্কু আক্তারুজ্জামানকে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সিঙ্কু ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিলেও আজ পর্যন্ত কাজ শেষ করেননি এবং ফ্লোরগুলো বেসিক ব্যাংকের নামে রেজিস্ট্রেশন করেও দেননি। তিনি উল্টো ভবনের ওপরে আরো সাততলা নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তা ১৬১ কোটি টাকায় কিনে নিতে বেসিক ব্যাংককে চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি নয়। বেসিক ব্যাংক গত বছর মে মাসে এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত চায়। মন্ত্রণালয় গত ডিসেম্বরে ভবন কেনার সঙ্গে জড়িত বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিজনেস রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সিঙ্কু আক্তারুজ্জামানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ২৬ অক্টোবর বেসিক ব্যাংককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। ২০১০ সালের রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় বেসিক ব্যাংককে সালিসের মাধ্যমে এরই মধ্যে কেনা ১২ তলার অতিরিক্ত সাততলা কেনার বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানানো হয় নোটিশে। এর জবাবে বেসিক ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ গত ২৭ নভেম্বর রফিক-উল হককে সালিসের জন্য নাম প্রস্তাবের অনুরোধ করে জানান, ব্যাংকের কেনা ১২ তলা পর্যন্ত ১২টি ফ্লোরের মোট ৫১,৫০০ বর্গফুট স্পেসের দলিল ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে আনুপাতিকহারে ভূমি ও ১৪টি কার পার্কিংয়ের জায়গা বুঝিয়ে দিতে হবে।
ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, আনুপাতিক ভূমিসহ বেসিক ব্যাংকের কেনা ১২টি ফ্লোর ও ১৪টি কার পার্কিংয়ের রেজিস্ট্রেশন ও দখল সময়মতো বুঝিয়ে না দেওয়ায় বিজনেস রিসোর্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করবে বেসিক ব্যাংক।
ভবন কেনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেওয়াসহ বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে গত ৪ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহম্মদ আউয়াল খান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের তখনকার পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে ব্যাংকের পক্ষে একজন মহাব্যবস্থাপক স্বাক্ষর করেছেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির ২০১০ সালের ৭ এপ্রিলের বৈঠকে ভবন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পায়। ভবন কেনার সময় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানতে ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন বিভাগকে গত ১৩ ডিসেম্বর নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিরীক্ষায় অনিয়ম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৭ এপ্রিলই ভবন কেনার চুক্তি হয় এবং ওই দিনই ৪০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের ভবন কেনার চুক্তি হওয়ার আগেই এবং ভবনের নির্মাণকাজে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ৪০ কোটি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, অডিট বিভাগ সেটিই তদন্ত করছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের (এখন চাকরিরত থাকুক বা না থাকুক) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে বেসিক ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছে, ভবন ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ব্যাংক ব্যবস্থাপনার নেই।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
60981b24-7185-4904-bef5-2c17f41798ce | ইয়াবা সেবন করতে গিয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল হাসান রিমন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে অন্তত পাঁচজন। ১৮ দিনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। পুলিশ এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে জানান, ইয়াবা সেবন করতে গিয়েই খুন হন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল হাসান রিমন। এ ঘটনায় জড়িত বাহারকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর ছোট বোন লিজার উত্তরার বাসা থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে এলিফেন্ট রোডে সাবেক শ্বশুরালয়ে যান রফিকুল ইসলাম রিমন। স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকায় বাসায় প্রবেশ না করে ছেলে রাফাত হাসান (১০) ও মেয়ে রাইসা হাসানকে (৪) বন্ধু রিপনের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন। পরে রিপনের সঙ্গে এলিফেন্ট রোডের মালঞ্চ রেস্টুরেন্টে নাশতা করেন। সেখান থেকে নিউ মার্কেটের উদ্দেশে রওনা করেন। এর পর থেকে নিখোঁজ রিমন। কোথাও খোঁজ না পেয়ে তাঁর বাবা খলিলউল্লাহ নিউ মার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৭ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে শুক্রাবাদে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের নিচতলা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ শনাক্ত করেন রিমনের বন্ধু জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় সাজেদুল করিম রনি নামের একজনকে। তিনি রিমনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
পরে নিউ মার্কেট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রিমনের বাবা খলিলউল্লাহ। মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি রনি। এ ছাড়া সন্দেহভাজন আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সাত দিন পর বাহার নামের আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, ঘটনার সময় সে নিজেও ইয়াবা সেবন করছিল। ওই ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা যান রিমন। তাদের মধ্যে কেউ রিমনকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে কি না তা তার জানা নেই। বাহার জানায়, রিমনসহ তারা চার-পাঁচজন শুক্রাবাদে নির্মাণাধীন ওই ভবনে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা ওই ভবনের সাততলায় ইয়াবার আসর বসায়। সেখানে তারা মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল। জায়গাটিতে বিদ্যুতের আলো ছিল না। সিঁড়ি ছিল অন্ধকার। ইয়াবা সেবনের একপর্যায়ে নিচে পড়ে যান রিমন। এরপর তারা সবাই পালিয়ে যায়।
তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রিমন সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে গেলে কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। এতে রিমনের পূর্বপরিচিত মাদকসেবী বন্ধুরাই জড়িত। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। কারণ রিমনের সঙ্গে ফ্ল্যাট নিয়ে রনির দ্বন্দ্ব চলছিল। রনির পরিকল্পনায় ওই ভবনে ডেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করিয়ে রিমনকে হত্যা করা হতে পারে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ওই ভবনে মাদকসেবীরা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। রাত হলেই একাধিক গ্রুপ ওই ভবনে জড়ো হতো। স্থানীয় বখাটেরা ওই ভবনে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে ইয়াবা সেবন করত।
রফিকুল হাসান রিমন দুই মাস আগে দেশে ফেরেন। বিজয় দিবসের দিন দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। জানা যায়, ২০১৫ সালে রিমন আগারগাঁওয়ে দুটি ফ্ল্যাট কেনেন। এর মধ্যে একটিতে রনিকে থাকতে দেন। আগে রনির সঙ্গে রিমনের ভালো সম্পর্ক ছিল। এরই মধ্যে রনি গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিল। ফলে সে বেকার হয়ে পড়ে। এরপর রনি কৌশলে নকল দলিল বানিয়ে ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হলে রিমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রনি।
রিমনের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা জানান, রিমনের ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছিল রনি। ওই ফ্ল্যাট নিয়েই হয়তো রনি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে রিমনকে হত্যা করেছে।
রিমন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাজেদুল করিম রনিকেই সন্দেহ করছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।
তবে রনির স্ত্রী মমতাজ ময়না দাবি করেছেন, যে ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা বলা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাট রিমনের কাছ থেকে রনি কিনে নিয়েছে। তাঁর স্বামী ছাত্রদলের রাজনীতি করে। তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে।
নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের আগে তাঁরা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন, আগারগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে রনির সঙ্গে রিমনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণে রিমন হত্যাকাণ্ডে রনিকে সন্দেহ করা হয়। মাদক সেবন করতে গিয়েই রিমনের মৃত্যু হয়। তবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সিঁড়ি থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
64297f7c-54d9-4f2c-8043-4a911aebdbe4 | সিলেটে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তানিম খান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে নগরের টিলাগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে টিলাগড় গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর এর জের ধরে ছাত্রলীগের রণজিত অনুসারী গ্রুপের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গতকাল সোমবার এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। দিনভর এই গ্রুপ এমসি কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
এ ঘটনায় টিলাগড় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। সিলেটে বহুধাবিভক্ত ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপ এখন এক আতঙ্কের নাম। অন্তত পাঁচটি গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত টিলাগড়বলয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পুরো এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত চার মাসের ব্যবধানে ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে নিজ দলের তিন কর্মী খুন হয়েছে। সর্বশেষ খুন হলেন তানিম।
নিহত তানিম সিলেট সরকারি কলেজের বিএ পাস কোর্সের শেষ বর্ষের ছাত্র এবং সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের ইসরাইল খানের ছেলে। তিনি শহরতলির ইসলামপুর এলাকায় একটি মেসে থাকতেন বলে তাঁর সহপাঠীরা জানিয়েছে।
তানিম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী ছিলেন। অন্যদিকে তাঁর ওপর হামলাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রবিবার রাত ৯টার দিকে তানিম কয়েকজন বন্ধু নিয়ে টিলাগড় পয়েন্টের আজমেরী রেস্টুরেন্টে চা খেয়ে বেরোনোর সময় ১০-১৫ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তানিম ফোনে কথা বলতে থাকায় পালাতে পারেননি। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তানিমকে রাত ১০টায় ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত সরকারের অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা আজাদ সমর্থক গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর পর থেকে তারা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর জেরেই ছাত্রলীগকর্মী তানিমকে হত্যা করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রায়হান ও তাদের সহযোগীরা বহিরাগতদের দিয়ে হামলা চালিয়ে তানিমকে হত্যা করেছে।
হিরণ মাহমুদ নিপু আরো অভিযোগ করেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর অনুসারী কর্মী জাকারিয়া মাছুম, নভেম্বরে সিয়াম ও সর্বশেষ রবিবার তানিম খুন হন আজাদ অনুসারী রায়হান গ্রুপের হাতে।
নিহত তানিমের খালু গিয়াস উদ্দিন জানান, পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। পারিবারিকভাবে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তানিমের বাবা ইসরাঈল খান বুরুঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাবলু বুরুঙ্গা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, নিজের সংগঠনের ক্যাডারদের হাতে তানিম খুন হবেন তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।
বড় ভাই বাবলু হাসপাতালে চিৎকার করে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, গ্রুপিং রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় বারবারই আশঙ্কা হতো; সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। তিনি তানিমের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সঙ্গে আর যেন কারো ভাইকে এভাবে চলে যেতে না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : ছাত্রলীগকর্মী তানিম খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের অনুসারী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী গ্রুপের কর্মী রুহেল আহমদ, জাকির আহমদ ও সৈয়দ আবিদ আহমদ। ওসি আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল ভোরে নগরের রায়নগর এলাকার একটি বাসা থেকে ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি তিনজনকে রবিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
ধর্মঘটে অচল দুই কলেজ : ছাত্রলীগকর্মী তানিম খান হত্যার ঘটনায় এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল ছিল দুটি কলেজই। ধর্মঘটের কারণে ডিগ্রি ইনকোর্স পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা অনিবার্য কারণ দেখিয়ে সকাল ১০টায় স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সকালে এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এই দুই কলেজে অনির্দিষ্টকালের ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ নেতা রণজিত সরকার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় এমসি কলেজের প্রধান ফটকে বেঞ্চ বসিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এ সময় সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ ও এমসি কলেজ মাঠে কাউন্সিলর আজাদ কাপ ক্রিকেট ভেন্যু ভাঙচুর করা হয়।
আতঙ্কের নাম টিলাগড় গ্রুপ : সিলেট নগর ছাত্রলীগের এই গ্রুপের অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে গত বছর অক্টোবরে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও খুনাখুনি বন্ধ হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ছাত্রলীগের গ্রুপিং রাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত এই গ্রুপ শুরু থেকেই মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত। দুটি গ্রুপ মিলেই টিলাগড় গ্রুপ। এক গ্রুপের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। অন্য গ্রুপের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত সরকার।
আজাদুর রহমান আজাদের গ্রুপে বর্তমানে বিলুপ্ত হওয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরীকেন্দ্রিক একটি বলয় থাকলেও রণজিত গ্রুপে দুটি বলয় রয়েছে। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুকে কেন্দ্র করে একটি বলয় এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ঘিরে অন্য বলয়। দুটি বলয়ের মধ্যে নিপু বলয়ের ছাত্রলীগকর্মীরা নগরের বালুচর এলাকায় এবং জাহাঙ্গীরকেন্দ্রিক বলয় খাদিমপাড়া ও মেজর টিলা এলাকার ওয়ান ব্যাংকের সামনে অবস্থান করে থাকে।
এবার ওসমানীনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ : এবার ওসমানীনগর উপজেলায় ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তাজপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
ce53ec57-bbb6-42a2-af96-eb0fdec236b3 | কালের কণ্ঠ’র সেরার স্বীকৃতি পাওয়া ২৩ কর্মীর সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক, কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
নবম বছরে পা রাখার দিনটিতে দেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ তার সেরা কর্মীদের পুরস্কৃত করেছে। ২৩ জনের এ সেরার তালিকায় আছেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা।
‘আংশিক নয় পুরো সত্য’—এ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে কালের কণ্ঠ সাহসী সাংবাদিকতার মাধ্যমে দ্রুত শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার কাতারে উঠে আসে। গতকাল বুধবার দৈনিকটি তার অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, বসুন্ধরার গুলনকশা হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জমকালো অনুষ্ঠানে দৈনিকটির সেরা কর্মীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ ২৪ এর সিইও নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
কালের কণ্ঠ’র সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার পেয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ শাফায়াত হোসেন ও শিক্ষানবিশ প্রতিবেদক মো. শওকত আলী।
সেরা সহ-সম্পাদকের পুরস্কার পান সহকারী বার্তা সম্পাদক ও শিফট ইনচার্জ সফেদ ফরাজী, সেরা সহসম্পাদক (ফিচার) সহকারী ফিচার সম্পাদক মুহম্মদ খান, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক ইশতিয়াক হাসান ফারুক, সহসম্পাদক লতিফুল হক।
সেরা শিল্পীর পুরস্কার পান ভিজ্যুয়াল এডিটর মাহবুবুল হক। সেরা ক্রীড়া প্রতিবেদকের পুরস্কার পান বিশেষ প্রতিনিধি সনৎ বাবলা ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নোমান মোহাম্মদ।
ঢাকার বাইরে থেকে সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার পান রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান রফিকুল ইসলাম, বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক লিমন বাসার। সেরা জেলা প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক প্রতিনিধির পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বজিৎ পাল বাবু ও ময়মনসিংহ-নেত্রকোনার আলম ফরাজী।
কালের কণ্ঠ অনলাইনের সেরা সহসম্পাদকের পুরস্কার পেয়েছেন শিফট ইনচার্জ আরিফ আবেদীন (জিশান) ও আনিসুর রহমান বুলবুল।
বিজ্ঞাপন বিভাগের সেরা দলনেতার পুরস্কার পান নির্বাহী পরিচালক (বিজ্ঞাপন) জেড এম আহমেদ প্রিন্স। এ ছাড়া সেরা বিপণন কর্মকর্তার পুরস্কার পান সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার এস এম এ সালেক, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার শেখ আব্দুল হালিম সবুজ, ডেপুটি ম্যানেজার কামরুজ্জামান পান্না ও অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ মো. বিল্লাল হোসেন।
সেরা সম্পাদনা সহকারীর পুরস্কার পান প্রধান সম্পাদনা সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সেরা কম্পিউটার কর্মীর পুরস্কার পান কম্পিউটার ইনচার্জ সাজ্জাদ পারভেজ।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
3e98ca01-b98e-4241-9596-9b4d132f843a | সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সুমন বাহিনীর তিন দস্যু নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের অধীন বাগেরহাটের শরণখোলার সুকপাড়া চর এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে দেশি-বিদেশি চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় চারটি ধারালো অস্ত্র এবং ৩৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দস্যুরা হলেন মো. জাকারিয়া সরদার (৩০), মো. জুলফিকার শেখ (৩৫) ও মো. খোকন মিনা (৪৩)। তবে তাঁদের ঠিকানা জানাতে পারেনি র্যাব।
দস্যুদের মৃতদেহ এবং অস্ত্র ও গুলি শরণখোলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাবের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব বরিশাল-৮-এর কম্পানি কমান্ডার মেজর সোয়েল রানা প্রিন্স জানান, সুন্দরবনে দস্যু সুমন বাহিনীর অস্থায়ী একটি আস্তানার সন্ধান পেয়ে র্যাব সদস্যরা গত বুধবার রাতে সেখানে অভিযান শুরু করেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুকপাড়া চর এলাকায় বনের মধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে র্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান।
র্যাবের কম্পানি কমান্ডার আরো জানান, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গুলিবিনিময়ের পর দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে দস্যুদের ব্যবহৃত দুটি একনলা বন্দুক, একটি কাটা রাইফেল, একটি পাইপগান, দেশে তৈরি চারটি ধারালো অস্ত্র এবং ৩৯ রাউন্ড গুলি ও গুলি রাখার তিনটি বান্ডলিয়ার উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনের শরণখোলা উপজেলাধীন কাতিয়ার খালে নৌ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু ফরিদ শেখ নিহত হন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
0c9b8bc6-0ab7-429c-9356-b2f192a2f23a | (গতকালের পর)
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় গত বুধবার উদ্যাপন করা হয় কালের কণ্ঠ’র অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার গুলনকশা হলে এ উপলক্ষে দিনভর চলে হৃদয়গ্রাহী ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা; আনাগোনা হয় দেশের গুণী ও বিশিষ্টজনদের।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসেছিলেন সদলবলে। বললেন, ‘সামনে নির্বাচন, কোনো কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে কালের কণ্ঠ ভালোই করবে মনে হচ্ছে।’ এই বয়সেও প্রাণচঞ্চল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উদ্দেশে কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামালের মন্তব্য—‘এখনো চিরসবুজ।’
এভাবে আরো অনেকেই এলেন ফুল হাতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মফিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশিদ আলম, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক মেজর রইসুল আজম মনি ও মেজর আবদুল্লাহ আল মেহেদী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার, বাসসের এমডি আবুল কালাম আজাদ, প্রধামন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব মনিরুন নেসা নিনু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান ও হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসলি হক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক, কনকর্ড গ্রুপের হেড অব মিডিয়া মাহফুজুর রহমান টুটুল, মেট্রোসেম গ্রুপের এমডি মু. শহীদ উল্লাহ, চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, বিজিবি কর্মকর্তা মহসিন রেজা প্রমুখ উপস্থিত হয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন।
আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, খাদ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু ও আজম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন প্রাইম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোনালী, জনতা, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, প্রাইম ইনসুরেন্স কম্পানি লি., বিকাশ, শিওরক্যাশের কর্মকর্তারা।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাইটেক স্টিল, মাগপাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লি., আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ঢাকা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গাজী গ্রুপ, পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লি., দি ওয়েস্টিন ঢাকা, ওরিয়ন গ্রুপ, শেভরন বাংলাদেশ, মাগুরা গ্রুপ, এসিআই লজিস্টিক লি. (স্বপ্ন), মমতাজ মেহেদি, স্মার্ট মেহেদি, গ্লোব সফট্ ড্রিংকস, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপার্স লি., আইসিসিবি, রংধনু গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমআফরোজ ডিস্ট্রিবিউশন, ডানলপ টায়ার, আলোক হেলথ কেয়ার, ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল, প্রবাসী পল্লী গ্রুপ, রূপায়ণ গ্রুপ, ওয়ালটন, এমএম ইন্টারন্যাশনাল, গোমতী, বসুন্ধরা কিংস, ইউনাইটেড লি., ইগলু, আইএসপিআর; বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর মধ্যে মাত্রা, অরিত্র অ্যাডভারটাইজিং ফার্ম, সারা অ্যাডভারটাইজিং, রানা অ্যাডভারটাইজিং, রোহিতা অ্যাডভারটাইজিং, অন্তর অ্যাড., অ্যাড ট্রেড, গাংচিল লিমিটেড, গোল্ডেন মিডিয়া, জারা অ্যাড. মিডিয়া, বিটোপি অ্যাডভারটাইজিং, অ্যাড কম, গ্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনস, স্টার মিডিয়া, মিডিয়া এক্সিস, পিআর ইমপেরিয়াল, পার্ল কমিউনিকেশন, অ্যানেক্স কমিউনিকেশন ও সেমস গ্লোবালের কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আজিজ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, সেমিনার সচিব কুদ্দুস সিকদার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের পক্ষে জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ওমর ফারুক শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ইউনাউটেড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনাল, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে এসে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্য থেকে পাবলিক রিলেশন্স অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (প্র্যাব), বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি, ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লি.; সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্য থেকে সমকাল, দ্য ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজটোয়েন্টিফোরডটকম ও রেডিও ক্যাপিটালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
dbebf2e9-a1d5-4803-a651-a067fd696b6c | চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালান হয়ে আসা ৯টি উট আটক করেছে বিজিবি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার ভোরে উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা ছয়টি উট আটক করেন। অন্যদিকে উপজেলার শিয়ালমারা সীমান্ত দিয়ে একইভাবে আসার সময় ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা তিনটি উট আটক করেন। তবে এ সময় কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
সোনামসজিদ বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান ও শিয়ালমারা বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মো. শাহ ফজলুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিবগঞ্জ কাস্টম শুল্ক গুদামে উটগুলো রাখা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রাশেদ আলীও সোনামসজিদ সীমান্তে ৯টি ভারতীয় উট আটকের সত্যতা স্বীকার করেন।
শিবগঞ্জ কাস্টম শুল্ক গুদামের সিপাহি নজরুল ইসলাম ৯টি উট পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সোনামসজিদ বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান জানান, দুই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা উট আটকের মামলায় একটিতে আটজনের, অন্যটিতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পলাতক দেখিয়ে শিবগঞ্জ থানায় শুক্রবার দুপুরে দুটি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e19be47a-4b76-4647-bc37-0b964bcbbc0c | পদ্মা সেতুর মতো ডিজিটাল বাংলাদেশও আজ দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রীকে যেমন রাস্তা বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনই আমাকে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের রাস্তা বানানোর দায়িত্ব। আদালতের জটিলতা কেটে যাওয়ায় শিগগিরই চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) মোবাইল সেবার তরঙ্গ নিলাম হবে। এ ছাড়া মার্চেই মহাকাশে উেক্ষপণ করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
সরকারের চার বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে সাফল্য নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরো চার বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় আইসিটি বিভাগের চার বছরের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সারা দেশে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান দামে ইন্টারনেট দেওয়া উচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে নতুন প্রজন্মকে সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। ইন্টারনেট সেবাদাতা কম্পানিগুলো পানির দামে ব্যান্ডউইথড কিনে চড়া মুনাফায় বিক্রি করছে, যা ঠিক নয়। ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে পারলে তরুণরা ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করবে, ঢাকামুখী হবে না। একই সঙ্গে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করাও একটি বড় বিষয়। মন্ত্রী বলেন, টেলিকম বিভাগের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো ঐতিহাসিকভাবে রুগ্ণ। ডাক বিভাগের পোস্ট অফিসগুলোকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটককে লাভজনক ও জনপ্রিয় করতে কল রেট কমানো হবে। টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ও বিটিসিএলকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে সরকার গঠিত হওয়ার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকে অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে শুরু হয় এর বাস্তবায়ন। এরই মধ্যে এই অভিযাত্রার ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম সারথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পূর্ণ করেছে আরো চারটি বছর। এই সময়ে দেশের তথ্য-প্রযুক্তির অবিস্মরণীয় উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও অগ্রগতিতে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কানেক্টিং ডিজিটাল বাংলাদেশ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট ও আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন—ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এই চার স্তম্ভকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শ ও নির্দেশে চার স্তম্ভ বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশবান্ধব নীতিমালা ও আইন প্রণয়নে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার অধিকাংশই আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের আওতায় ২০২১ সালে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এরই মধ্যে সরকারি সেবার ৪০ শতাংশ ই-সেবায় রূপান্তর হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তা ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। আইসিটি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এই খাতের রপ্তানি ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে গত বছর ৮০০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০১৮ সালে তা এক বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে চার বছরে সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে পলক বলেন, ১২ ডিসেম্বরকে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ তে মানবিক রোবট সোফিয়াকে এনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নের সঙ্গে দেশের মানুষকে পরিচিত করা, এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স অ্যাওয়ার্ড (এপিআইসিটি) ২০১৭ আয়োজন, জাতীয়ভাবে জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ৩৩ লাখ ফোনকলের বিশ্লেষণ করে ৯৯৯ চালু, পেপাল-জুম সার্ভিস ও গুগল মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট চালু, ৯৪টি আইসিটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার, আইসটি পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা, হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য চাকরি মেলার আয়োজন করে যোগ্যদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া, দেশের ৬৪ জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্পের আয়োজন করে তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় উদ্বুদ্ধ করা ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলির অন্যতম।
আইসিটি অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় দেশে ২৮টি হাইটেক/আইটি পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম চলমান। এর মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ কর্মসংস্থান হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের সুষম উন্নয়ন ও বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কটিতে এরই মধ্যে ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫টি প্রতিষ্ঠান এবং এর চতুর্থ তলায় ১০টি স্টার্ট-আপকে বিনা মূল্যে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’র প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখানে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘সিলেট ইলেকট্রনিকস সিটি’র অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজশাহীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’, জেলাপর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলা), দেশের সাতটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন স্টোর স্থাপনের কাজ চলমান।
উপজেলা পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ইনফো-সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় উপজেলা থেকে ২,৬০০টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ ও প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স স্থাপন, লিজড লাইনের মাধ্যমে এক হাজার পুলিশ অফিসে সংযোগসহ পৃথক ভিপিএন স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। দেশের ৫৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠান, ২২৭টি সরকারি দপ্তর ও ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১৮ হাজার ৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একীভূত নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮৭৬টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
050c7e72-294e-4285-8414-da3e652a5d70 | বিশেষ মূল্যছাড় আর উপহারের মধ্য দিয়ে ছুটির দিনে রাজধানীতে জমে ওঠে ‘টেকশহর ডটকম স্মার্টফোন অ্যান্ড ট্যাব এক্সপো ২০১৮’। তিন দিনের এই মেলা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)। আয়োজকরা জানান, ছুটির দিন থাকায় বড়দের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল দেখার মতো। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
মেলার আয়োজক এক্সপো মেকারের কর্মকর্তারা জানান, প্রদর্শনী উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ছাড় ও উপহার দিচ্ছে। দর্শকরা প্রযুক্তির আধুনিক সব স্মার্ট ডিভাইস যাচাই-বাছাই করে দেখতে ও কিনতে পারছে। রয়েছে অন্য অনেক আয়োজন। মেলায় দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্যামসাং, টেকনো, শাওমি, উই, হুয়াওয়ে, এলজি স্মার্টফোন, অপ্পো, সিম্ফনি, লাভা, নকিয়া, লেনোভো, আসুস জেনফোন, উইনম্যাক্স, মাইক্রোম্যাক্স, ডিসিএল, ডিটেল, এডাটা, কিকসা ডটকম, আজকের ডিল, মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে, কুইক ফিক্স, বিজয় ডিজিটালসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যে ব্র্যান্ডগুলো নানা ধরনের ছাড় উপহার দিচ্ছে।
মেলায় স্যামসাং মোবাইলে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টফোনের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলছাড়। এ ছাড়া গ্যালাক্সি এ৮ প্লাস ফোন মেলার প্রথম দিন থেকেই এর প্রি অর্ডার করা যাচ্ছে। রয়েছে নানা ধরনের উপহার—চাবির রিং, ট্র্যাভেল ব্যাগ, সোয়েটার, জ্যাকেট, লেদার বক্স, ভিয়ারগিয়ারসহ আরো অনেক কিছু।
টেকনো মোবাইল টেকশহর স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলায় ফোনের মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফোনের জন্য রয়েছে আলাদা উপহার। উপহার হিসেবে রয়েছে ব্যাকপ্যাক, টি-শার্ট, ক্যাপ, সেলফি স্টিক ও চাবির রিং।
মেলাতে শাওমির প্রতিটি হ্যান্ডসেটে রয়েছে ফ্রি উইন্টার জ্যাকেট। এ ছাড়া প্রতিদিন র্যাফেল ড্র রয়েছে শাওমি স্টলে। উই মোবাইল স্টলে মিলছে একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার। এ ছাড়া রয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। এ ছাড়া রয়েছে ব্লুটুথ, ব্যাক কভার, টি-শার্ট, ব্যাকপ্যাক।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলায় সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দিচ্ছে। এ ছাড়া রয়েছে ট্যাব ও ফোনের জন্য আলাদা উপহার।
মেলায় এলজি মোবাইলের ছয়টি মডেলের স্মার্টফোন রয়েছে। আট হাজার টাকা থেকে শুরু এগুলোর দাম। উপহার হিসেবে রয়েছে ব্যাকপ্যাক, জ্যাকেট, ক্যাপ, ব্লুটুথ স্পিকার। এ ছাড়া ক্রেতাদের পিটিসি ব্যাংক চেক দিয়ে কিস্তিতে ফোন কেনার সুযোগও রয়েছে।
অপ্পো ফোন কিনলেই উপহার হিসেবে যাওয়া যাবে গিফট বক্স। গিফট বক্সে রয়েছে সেলফি স্টিক, হেড ফোন, ওয়াটার পট, কি রিং। নির্দিষ্ট কিছু ফোনের ওপর রয়েছে মূল্যছাড়। এ ছাড়া মেলায় অপ্পো এফ৫ ৬ জিবি রেড ফোন পাওয়া যাচ্ছে।
সিম্ফনি স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলায় ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে। রয়েছে নির্দিষ্ট বেশ কিছু মডেলের স্মার্টফোনের ওপর ৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। উপহার হিসেবে রয়েছে টি-শার্ট, সেলফি স্টিক, মোবাইল রিং, চাবির রিং, ব্লুটুথ স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক ও ব্যাকপ্যাক।
নকিয়া মোবাইলে ৫০০ টাকা ছাড়া রয়েছে। এ ছাড়া লাভা, লেনোভো, ডিটেল, ডিসিএল, উইনম্যাক্স, মাইক্রোম্যাক্সের স্মার্টফোন মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্টফোন ছাড়াও মেলায় স্মার্টফোনের আনুষঙ্গিক গ্যাজেট বিক্রি করবে এডাটা, কিকশা ডটকম, আজকের ডিলসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। রয়েছে মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে, কুইক ফিক্স এবং অল্প দামে ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে বিজয় ডিজিটালের স্টল।
ডিভাইস মেরামতের নিশ্চয়তা নিয়ে মেলায় এসেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কুইক ফিক্স। সেবাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অপ্পো, ভিভো, শাওমি, অ্যাপল ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের ডিভাইস রিপেয়ার করতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে কুইক ফিক্সের স্টলে বুকিং দিয়ে প্রথম রিপেয়ারে পাওয়া যাবে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। সেবাটি নেওয়ার জন্য কুইক ফিক্সের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
গেম তৈরির নির্দেশনা পেলেন তরুণরা : এক্সপোর প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘মোবাইল অ্যাপ ও গেইম : সম্ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনার। এডুমেকার ও টেকশহরের আয়োজনে এই সেমিনারটিতে কিনোট উপস্থাপন করেন বিশ্বমাতানো গেম ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টসের নির্মাতা এবং রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হক। সেমিনারটি মডারেটও করেন তিনি।
সেমিনারে মাইন্ডফিশার গেমসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জামিল রশিদ বলেন, দেশীয় বাজার লক্ষ্য করে ভালো গেম তৈরি করলে সাড়া পাওয়া যাবে। নতুনদের গেম তৈরি করতে হলে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। বিনিয়োগের দিক চিন্তা করে ছোট ছোট কিছু গেম তৈরি করে শুরু করা উচিত। তিনি বলনে, গেম তৈরি শিখতে হলে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। এতে কোনো শর্টকাট উপায় নেই। ধৈর্য ধরলে সফলতা আসবেই। এ ছাড়া ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ হোসেন এ বিষয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মেলা প্রতিদিনের মতো আজও সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
e6e80ff2-049c-49e1-bd19-45367ad834f3 | আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পর পাবনা মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের পরীক্ষা রয়েছে, তারা তাদের প্রবেশপত্র দেখিয়ে হলে থাকতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্র জানায়, মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন ক্লাবের পরিচিতিসভার অনুষ্ঠান নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাফুজ নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি, সংঘর্ষ শুরু হয়। গতকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু তোরাব মিম, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুবায়ের মাহমুদ, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক এমরান হোসেন অর্ঘ্য, সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম হাসানুজ্জামান, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জয়দেব কুমার সুত্রধরসহ ৯ জন আহত হন।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক রেজা কালের কণ্ঠকে জানান, সংঘর্ষ চলাকালে কলেজের তিনটি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একাডেমিক কাউন্সিল গতকাল সকালে জরুরি বৈঠকের মধ্যে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেয়। গতকাল দুপুর ২টার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন করে হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে জানান, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল দুপুর ২টায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে যেতে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে সদর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
2c805297-2d07-43fe-beaa-33952ab73c13 | মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন প্রত্যাবাসনের পর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জীবিকা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আরো অনেক কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উল্লেখ্য, তারো কোনোই একমাত্র বিদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরুর পর সেখানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। মিয়ানমার সরকার এখনো রাখাইনে বিদেশি ত্রাণকর্মীদেরও যেতে দিচ্ছে না।
জাপানের একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকের অনলাইনের বৈশ্বিক সংস্করণে গতকাল শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রস্তুতি দেখতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো গতকাল দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফর করেছেন। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে তারো কোনো রাখাইন রাজ্যে যান।
এনএইচকে জানায়, ‘গত বছর নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশ পালিয়েছে। প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গার বাড়িঘর আছে, এমন একটি গ্রামে তারো কোনোকে দেশটির কর্মকর্তারা সংঘাতে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি (তারো কোনো) ওই গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে তাদের জীবিকার বিষয়ে শোনেন।’
এরপর কোনো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আসেন। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে যে সেতুটি ব্যবহার করবে এবং প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সেখানে যে সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তাও পরিদর্শন করেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তারো কোনো সাংবাদিকদের বলেন, অনেক গ্রাম ও বাড়িঘর পুড়ে গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ। যারা ফিরে যাবে (বাংলাদেশ থেকে) তাদের জীবিকা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অনেক কাজ করতে হবে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বিভক্ত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাপান সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
এর আগে গত শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের, বিশেষ করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সু চিকে তাগিদ দেন।
তারো কোনো বলেন, রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন কাজে সহায়তা যেমন—বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ও পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের জন্য জাপান মিয়ানমারকে তিন কোটি ডলার জরুরি সহায়তা দেবে। এ ছাড়া নারীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করতে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে জাপান মিয়ানমারকে দুই কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এরপর সু চির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা উচিত। বিভাজন সৃষ্টি নয়, বরং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উপায়েই এটি হওয়া উচিত।
অন্যদিকে সু চি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক আগ্রহের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। তবে ইস্যুটি অনেক বড়। তিনি বলেন, আন্তঃসম্প্রদায় সম্প্রীতি ও মৈত্রী উৎসাহিতকরণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি কিভাবে করা হবে তা মিয়ানমারের জনগণই ঠিক করবে।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক কাল : আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে দুই দেশ লক্ষ্য ঠিক করলেও তা বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রত্যাবাসন উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিতে আগামীকাল সোমবার নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকে বসছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন।
জানা গেছে, আগামীকালের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সই হওয়ার কথা রয়েছে। কোন পথ দিয়ে দিনে কতজন রোহিঙ্গা যাবে এবং যাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে তা ওই চুক্তিতে থাকবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
041bced5-ae3c-4c30-b40e-09f4670c1b78 | উবার, পাঠাওসহ মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মোটরকারে যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা ভিত্তি ধরে প্রতি কিলোমিটার ১৮ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বিষয়ক নীতিমালা জারি হলে এই ভাড়া কম্পানিগুলো আরো বাড়ানোর সুযোগ পাবে বলে আশঙ্কা করছে যাত্রীরা। কারণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো খসড়া নীতিমালায় বলা আছে, রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া ‘ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন, ২০১০’ অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া অপেক্ষা বেশি হতে পারবে না। বর্তমানে ট্যাক্সিক্যাবে প্রথম দুই কিলোমিটার ৮৫ টাকার পর প্রতি কিলোমিটার ৩৪ টাকা করে ভাড়া নির্ধারিত আছে।
‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭’ আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য পাঠানো নীতিমালার খসড়ায় সব ক্ষেত্রেই মোটরযানের কথা বলা আছে। নীতিমালায় ভাড়াসংক্রান্ত অনুচ্ছেদের কোথাও মোটরসাইকেলের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু উবার, পাঠাওসহ বিভিন্ন অ্যাপভিত্তিক কম্পানি মোটরসাইকেলেও যাত্রী পরিবহন করছে।
মন্ত্রিসভা বৈঠকের জন্য পাঠানো সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু হলে ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীতে যানজট পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে, যাত্রীসেবার মান বাড়বে এবং মোটরযান মালিকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনো আধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে গড়ে ওঠেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু রয়েছে। এ দেশেও কিছু কম্পানি কার্যক্রম শুরু করেছে। ঝামেলামুক্ত ও আরামদায়ক যাত্রীসেবা হিসেবে মহানগরবাসীর কাছে এর চাহিদা রয়েছে।
উবার, পাঠাওয়ের নিয়মিত যাত্রী ফারুক আল ফয়সাল বলেন, ঝামেলামুক্ত, সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি ট্যাক্সিক্যাবের চেয়ে কম ভাড়ায় আরামদায়ক ভ্রমণের জন্যই অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা গ্রহণ করছে যাত্রীরা। নীতিমালায় যদি ট্যক্সিক্যাবের সমান ভাড়া নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে কম্পানিগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের এখনকার চেয়ে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে।
তবে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে যাত্রী অসন্তোষ শুরু হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে, ভাড়াও নির্ধারণ করে দিতে পারবে। এ বিষয়ে নীতিমালার ‘ঙ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় চলাচলকৃত ব্যক্তিগত মোটরকারের ভাড়া ‘ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন, ২০১০’ অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া অপেক্ষা বেশি হতে পারবে না। তবে কোনো কারণে ভাড়াসংক্রান্ত যাত্রী অসন্তোষ সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে সরকার ভাড়া নির্ধারণ/পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।”
কেবল ব্যক্তিগত মোটরকার, মোটরসাইকেলই নয়, যে কেউ চাইলে তার জিপ গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্সও রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত করতে পারবে। নীতিমালার ক(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় ব্যক্তিগত মোটরযান যেমন—মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুল্যান্স অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
বর্তমানে ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালু রয়েছে। নীতিমালা অনুমোদিত হলে যেকোনো মফস্বল এলাকায় বা শহরে সর্বনিম্ন ২০টি গাড়ি নিয়ে এই সেবা চালু করা যাবে।
এই নীতিমালার আওতায় ব্যক্তিগত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার পর কমপক্ষে এক বছর পার না হলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় নিয়োজিত করা যাবে না। আর একজন মোটরযান মালিক মাত্র একটি গাড়িই রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে পরিচালনার অনুমতি পাবেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইটে রাইড শেয়ারিংয়ে নিযুক্ত সব যানবাহনের তালিকা শ্রেণিবদ্ধভাবে একটি মেন্যুতে রাখা হবে। সেখানে যাত্রীর অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে।
রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাড়ির মালিক বা চালকের একটি সমঝোতা চুক্তি হতে হবে। ওই চুক্তিতে সব পক্ষের অধিকার ও দায়-দায়িত্বের বিষয় উল্লেখ থাকবে। গাড়ির মালিক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এক মাস আগে লিখিত নোটিশ দিয়ে চুক্তির সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারবে।
নীতিমালায় যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নীতিমালার ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনে এসওএস সুবিধা থাকবে। কোনো জরুরি মুহূর্তে এসওএস বোতাম স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই ফোন নম্বরে রাইড শেয়ারিং মোটরযান চালকের সব তথ্য ও যাত্রীর জিপিএস লোকেশন পাঠাবে। যাত্রীরা যাতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে নিয়োজিত চালকের ছবি, নাম, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ মোটরযানের অবস্থান ভালোভাবে দেখতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা অ্যাপ্লিকেশনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি যাত্রা যাতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম প্রয়োজনে সরাসরি দেখতে পারে, তার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। যাত্রী ও চালকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জরুরি বার্তা বা সংকেত পাঠানোর একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা অ্যাপ্লিকেশনে থাকতে হবে। অ্যাপ্লিকেশনটি বিআরটিএ থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কল সেন্টার সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখতে হবে।
যেকোনো যাত্রীর ভ্রমণের রেকর্ড তিন মাস সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে যেসব ব্যক্তিগত যান নিযুক্ত হবে, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই ওই সব গাড়ির মালিকানা দাবি করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের পুরো তথ্য বাংলাদেশের মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করবে। কোনো তথ্যই কোনোভাবে বাংলাদেশের বাইরে পাঠানো যাবে না। এ ছাড়া রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো পক্ষের কাছে ড্রাইভার বা যাত্রীর ব্যক্তিগত শনাক্তযোগ্য কোনো তথ্য প্রকাশ করবে না। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বিআরটিএ বা অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনে তা সরবরাহ করতে হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
eab049d7-925d-4ee8-a782-4dcb3523d408 | নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ এখনো অব্যাহত আছে। গতকাল শনিবার উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজও তা অব্যাহত থাকবে। উত্তুরে হিমেল কনকনে বাতাস বইছে আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পথঘাট। উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কনকনে শীতে কাজে যেতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে ছয়টি ফেরি। এতে যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে নানা অসুখে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছে বলে খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদিও বেসরকারি হিসাবে গত ১০ দিনে মারা গেছে প্রায় ৪০ জন। তীব্র শীতে গতকাল নওগাঁয় একজন মারা গেছে। আরো দুই দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, আরো দুই দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর ও নওগাঁয় ছিল ৭.৩ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আজও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালের ওপর দিয়েও মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রচণ্ড শীতে তোছাম্মেল হোসেন (৪৮) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হরিশপুর মাঠে ধান রোপণ করার সময় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, শনিবার রাত ৩টা থেকে পদ্মা অববাহিকায় ঘন কুয়াশা নেমে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব এতই বেশি ছিল যে খুব কাছের কোনো জিনিস দেখা যাচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় মাঝ নদীতে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে নোঙরে থাকে ছোট-বড় ছয়টি ফেরি। দীর্ঘ সময় নদীর মাঝে ও ফেরিঘাটে আটকা পড়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে শনিবার সকাল ১১টার দিকে কুয়াশার প্রভাব কমে এলে আট ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে গতকাল ফের ঘন কুয়াশায় টানা সাড়ে সাত ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল। এ সময় যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহস্রাধিক বিভিন্ন গাড়ি। এতে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে সাড় চার কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি সার্ভিস বন্ধকালীন সময়ে প্রতি ঘণ্টায় লক্ষাধিক টাকা করে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিআইডাব্লিউটিসি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
aa0cb6f0-d1c4-45ec-9252-67558eb054ef | সন্ধ্যার পরই বাড়ছিল মানুষের আনাগোনা ও ব্যস্ততা। কেউ আসছে মামলা দিতে, কেউ আটক-সন্তান ছাড়িয়ে নিতে, কেউ বা ধান কাটতে সহযোগিতা চাইতে। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনা শুনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এমনকি দাম্পত্য কলহ মীমাংসায় থানা চত্বরেই বসানো হচ্ছে সালিস বৈঠক। তাতে সমঝোতা না হলে শুরু মামলার প্রক্রিয়া। গত শুক্রবার রাতভর বাগেরহাট মডেল থানায় অবস্থান করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে মিলেছে এ চিত্র।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট। গায়ে কালো রঙের চাদর জড়ানো মধ্যবয়সী এক নারী দ্রুত ঢুকলেন থানায়। উপস্থিত কনস্টেবলের কাছে থেকে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করলেন। এরপর চিন্তিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। কাছে গিয়ে আলাপকালে জানা গেল, লিলি বেগম নামের এই নারী এসেছেন আটক সন্তানকে ছাড়িয়ে নিতে। ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে পুলিশ সন্ধ্যার আগে আটক করেছে। রাত ৯টার দিকে ডিউটি অফিসারের কক্ষে দুই কিশোরকে বসিয়ে রাখতে দেখা যায়। সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির কারণে তাদেরকে একজন এএসআই আটক করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত লিলি বেগমকে দেখা যায় থানার প্রধান ফটকের বাইরে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতে। তিনি বলেন, ‘ছেলে ছাড়া পাবে। সে নির্দোষ। শহরতলির হরিণখানা এলাকায় বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে দুই পুলিশ উপস্থিত হলে বন্ধু দৌড় দেয়। তখন পুলিশ সন্দেহবশত ছেলেকে ধরে নিয়ে আসে।’ কিভাবে ছেলেকে ছাড়ালেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন না তিনি।
রাত ৮টার পর থানায় মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেল। কেউ আসছে জমির ধান কাটার অভিযোগ দিতে, কেউ পাওনা টাকা আদায়ে সহযোগিতা চাইতে, কেউ বা আটক স্বজনকে ছাড়িয়ে নিতে। আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারকে সঙ্গে এনেছে অনেকে। থানার ভেতরে ও বাইরে তারা পৃথকভাবে আলাপ করছে। থানার ভেতরে তখন ওসি মো. মাহাতাব উদ্দিন নিজ কক্ষে অবস্থান করছিলেন। থানার পশ্চিম পাশের গেটে নির্মাণকাজ চলায় পূর্ব পাশের গেট দিয়েই যাতায়াত করছিল সবাই। পুলিশ কর্মকর্তারা মোটরসাইকেল ও পিকআপ নিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই আসা-যাওয়া করছিলেন। তীব্র শীতের মধ্যে থানার পূর্ব পাশে অপেক্ষা করছিলেন দুজন রাইটার। এজাহারসহ মামলাসংক্রান্ত কাজে লেখালেখিতে সহযোগিতা করেন তাঁরা।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে থানা চত্বরে গোলঘরের সামনে চলছিল একটি সালিস বৈঠক। স্ত্রী শাহিনা বেগমকে নির্যাতনের অভিযোগে আটক মানিক ফকির (৩৫) তখন হাজতখানায় বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না করে মীমাংসার জন্য স্ত্রীর স্বজনদের বোঝানো হচ্ছিল। দুই পক্ষের আত্মীয়, প্রতিবেশী, একজন ইউপি মেম্বারসহ ১৮ জন বৈঠকে উপস্থিত। মাঝখানে একটি চেয়ারে বসা এসআই লুত্ফর রহমান। এ দম্পতির সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ছেলে আব্দুল্লাহ ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ে অনিকা আক্তারকেও বসে থাকতে দেখা যায়।
রাত ৮টা ২০ মিনিটে রিকশাযোগে থানায় ঢোকেন নির্যাতিত গৃহবধূ শাহিনা বেগম (৩০)। মা ফাতেমা বেগমের কাঁধে ভর দিয়ে ওসির কক্ষে ঢোকেন তিনি। হাসপাতাল থেকে এসেছেন তিনি। ওসি গৃহবধূর কাছে জানতে চান তিনি ঘটনার মীমাংসা, নাকি মামলার পক্ষে। শাহিনা নির্যাতনকারী স্বামীর বিচার দাবি করলে ওসি মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। গোলঘরের বৈঠকে মীমাংসা সম্ভব হয় না।
এসআই লুত্ফর রহমান জানান, গৃহবধূ শাহিনা বেগমকে নির্যাতন ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বিকেলে মানিক ফকিরকে আটক করেন। এরপর দুই পক্ষের স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কথায় মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু শাহিদা মীমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। এখন এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে শাহিনার স্বামী মানিক ফকির, শাশুড়ি ফাতেমা বেগম ও শ্বশুর ইসমাইল ফকিরকে।
শাহিনা বেগম প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে বলেন, মীমাংসা করতে কে না চায়? আমার তো ছেলে-মেয়ে আছে। কিন্তু আজ মীমাংসা করলে, দুই দিন পর আবারও মারবে। মারতে মারতে মেরে ফেলবে। স্বামীর ওপর আমার আর ভরসা নেই।’
জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে—এমন অভিযোগ নিয়ে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ওসির কক্ষে ঢোকেন স্কুলশিক্ষক ডেমা গ্রামের শেখ আব্দুল লতিব। অভিযোগ পেয়েই ওসি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এসআই শফিকুল ইসলামকে। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
রাতে থানার ভেতরে বকুলতলায় দেখা গেল চার-পাঁচজন কথা বলছে। সেখানে ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনি মল্লিক আছেন। তিনি জানান, মির্জাপুর গ্রামের রুমিচা বেগম পাশের গ্রামের মোজাফফর নকিবের কাছে টাকা পাবেন। থানা থেকে মীমাংসার জন্য বলায় তিনি এসেছেন।
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ওসি থানা থেকে বের হয়ে যান; কিন্তু আধাঘণ্টা পরই ফিরে আসেন। এরপর দাপ্তরিক কিছু কাজ শেষে রাত সাড়ে ১২টায় বের হন। এরপর থানার কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রাত ১টা ২০ মিনিটে রাস্তায় একটি মহেন্দ্র গাড়ি রেখে চারজন ঢোকে থানা চত্বরে। রেজাউল শেখ নামের এক মধ্যবয়সী পরিচয় দিয়ে জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। পুলিশ তাঁর ছেলে লিমনকে ধরে এনেছে। খবর পেয়ে ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য এসেছেন। এরপর থানা থেকে খবর পেয়ে টিএসআই ইউনুছ আলী পৌঁছান। তিনিই শহরের ফলপট্টি এলাকা থেকে লিমনসহ তিনজনকে আটক করেছিলেন। রাত ২টার দিকে মুচলেকা নিয়ে লিমনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে শুধু গৃহবধূ শাহিনার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে সংসার টিকিয়ে রাখতে মীমাংসার চেষ্টা হয়। আর রাতে শহরে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা ছাত্র বলে নিশ্চিত হওয়ায় অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। থানায় মামলা বা জিডি করতে টাকা নেওয়া হয় না বলে ওসি দাবি করেন। তিনি বলেন, শহরের নিরাপত্তায় প্রতি রাতের জন্য ১০টি টিম হটল দিচ্ছে। দুটি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকে। কোনো গাফিলতি অথবা অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
93bcb030-d380-452e-a74f-9072805b0658 | নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবি ভিলার মেসে অভিযানে নিহত জঙ্গিদের একজন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামের মেজবা উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনে আঙুলের ছাপ যাচাই করে মেজবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাব গতকাল রবিবার তার বাবা, মা, স্ত্রী ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনেছে বলে জানা গেছে।
নিহত মেজবার বাবার নাম এনামুল হক এবং মায়ের নাম তাহমিনা আক্তার। তার বাবা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। মেজবা ঢাকার সায়েদাবাদে মুদি দোকান চালায় বলে জানত গ্রামের লোকজন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনে আঙুলের ছাপ যাচাই করে মেজবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই মেজবাই ‘জাহিদ’ নাম দিয়ে রুবি ভিলায় মেসের কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল। অন্য দুজনের পরিচয় উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তারা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই ছিল ভুয়া। দুটি পরিচয়পত্রেই এক যুবকের ছবি ছিল। আবার একটিতে নাম ছিল ‘জাহিদ’ এবং অন্যটিতে ছিল ‘সজীব’।
এদিকে গতকালও রুবি ভিলার মালিকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। গতকাল ওই বাড়িতে গেলে মালিকপক্ষের কারো সঙ্গে কথা বলতে দেননি র্যাব সদস্যরা।
র্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘দুটি পরিচয়পত্রই ভুয়া। জঙ্গিদের এই প্রবণতা আগেও দেখা গেছে। জাহিদ বলে পরিচয় দেওয়া যুবকের ফিঙ্গার প্রিন্ট একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। ওই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জাহিদের প্রকৃত নাম মেজবা উদ্দিন। তার বাবার নাম এনামুল হক ও মায়ের নাম তাহমিনা আক্তার। বাড়ি কুমিল্লায়।’ এ বিষয়ে র্যাব কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আর কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো একটি এসএমএসে বলা হয়, মেজবার মা, বাবা, স্ত্রী ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
গতকাল রাত পর্যন্ত র্যাবের গণমাধ্যম শাখা, র্যাব-৩ অধিনায়ক, অপস অফিসার এবং কুমিল্লার র্যাব ১১-এর কম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সংশ্লিষ্টরা মেজবার পুরো ঠিকানা জানাননি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেজবার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামে। গতকাল দুপুরে র্যাব তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের চারজনকে নিয়ে আসে।
হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ মেজবা সম্পর্কে বেশি কিছু জানে না। সে ঢাকায়ই থাকত।’
হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, মেজবা ১৫-১৬ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। এলাকার লোকজন জানে সে সায়েদাবাদ এলাকায় মুদির দোকান চালায়। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। তার ছোট ভাই মোসলেহ উদ্দিন বাড়িতে থাকে। তাদের বাবা এনামুল হক স্থানীয় মসজিদের ইমাম। সাত মাস আগে বিয়ে করে মেজবা।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেজবার জন্ম ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৯৩১৯১৭৪৩১০০৪০। এই মেজবাই জাহিদ পরিচয় দিয়ে রুবি ভিলার মেসের ব্যবস্থাপক রুবেলের কাছ থেকে একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। গত ৪ জানুয়ারি সে এবং গত ৮ জানুয়ারি ‘ভাই’ পরিচয় দেওয়া অন্য দুজন সেখানে ওঠে। তারা তিনজনই গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের অভিযানে নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একই ছবি থাকা দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করে র্যাব। তিনজনের কেউই ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করেনি।
র্যাব সূত্র জানায়, নিহত মেজবা জেএমবির জঙ্গি। সে একটি দলের সঙ্গে মিলে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ ব্যাপারে তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
নিহত অন্য দুজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, ‘অন্য দুজনের পরিচয়ও যাচাই করা হচ্ছে। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
d49d95f6-1949-4d86-99d9-51eb45013aac | নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে গতকাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আক্রমণ অভিযান ‘অপারেশন ব্যাঘ্রথাবা’-র মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : আইএসপিআর
শীত জেঁকে বসেছে দেশজুড়ে। এর বাইরে নয় নোয়াখালীর সুবর্ণচরের স্বর্ণদ্বীপও। রাত তো বটেই, দিনভর ঘন কুয়াশা দ্বীপ ও সংলগ্ন এলাকাজুড়ে। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছে শত্রুপক্ষ। বাংকার আর ট্যাংকসহযোগে ওরা হুমকি হয়ে উঠেছে পুরো দ্বীপবাসীর জন্য। এই শত্রুকে দমন করতে সেখানে অভিযান চালায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। পৌনে এক ঘণ্টার যুদ্ধে অবশেষে আসে চূড়ান্ত বিজয়।
স্বর্ণদ্বীপে গতকাল রবিবার পরিচালিত সেনাবাহিনীর আক্রমণ অভিযানের মহড়ার চিত্র এটি। মহড়ার প্রেক্ষাপট—শত্রুপক্ষ দখল করে নিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মাঝের স্বর্ণদ্বীপ। দ্বীপটিকে শত্রুমুক্ত করতে সরকারের নির্দেশে নৌ ও বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় সেনাবাহিনী সেখানে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করে। ট্যাংকের মাধ্যমে ভূমি থেকে ভূমিতে ভয়ংকর আক্রমণ চালানো হয়। গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো দ্বীপ। চারদিকে জ্বলে ওঠে আগুন।
বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চরে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঝাউবন ঘেরা এই ভূখণ্ডের নাম আগে ছিল জাহাজ্জ্যার চর। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দ্বীপটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে স্বর্ণদীপ। ৭২ হাজার একরের স্বর্ণদ্বীপ এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে চলছে সেনাবাহিনীর নানামুখী প্রশিক্ষণ। সেসব প্রশিক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক, এপিসি, মর্টার, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ও রকেট লঞ্চার, হেভি মেশিনগান ও সেলফ প্রপেল্ড আর্টিলারি (এসপি আর্টিলারি)। এসব অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ইনফেন্ট্রি, আর্মার্ড, আর্টিলারিসহ (ফিল্ড আর্টিলারি ও মিডিয়াম আর্টিলারি) বিভিন্ন কোর ও আর্মি এভিয়েশন। এতে উন্নত ও অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রশিক্ষণে নিজেদের সমৃদ্ধ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় পরিচালিত সশস্ত্র বাহিনীর মহড়া অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শত্রুর সব অবস্থান। ধ্বংস হয়ে যায় শত্রুপক্ষের ট্যাংক ও বাংকার। হতাহত হয় শত্রুপক্ষের বহু সদস্য। মাত্র ৪৫ মিনিটের যুদ্ধে শত্রুর সব শক্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। অবশেষে যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় আসে। বিজয়ের এই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনি ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
শত্রু-শত্রুর এই খেলা সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া ‘অপারেশন ব্যাঘ্র থাবা’। গতকাল মহড়া পরিদর্শন করেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ-জামান ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. রাশেদ আমিন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৌ-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা। মহড়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কায়সার মালিক। পরিচালনা করে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ৫২ পদাতিক ব্রিগেড।
‘অপারেশন ব্যাঘ্রথাবা’ মহড়ায় পদাতিক সাঁজোয়া এবং গোলন্দাজ বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্য সব আর্মস/সার্ভিসেস অংশ নেয়। এই অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্পেশাল ফোর্স হিসেবে এডহক প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন প্যারাট্রুপার, আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এই আক্রমণ অনুশীলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রত্যন্ত ও দুর্গম দ্বীপটিতে আন্তর্জাতিক মানের এমন সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশে এ-ই প্রথম। জলদস্যুদের এক সময়ের নিরাপদ আস্তানা এই দ্বীপে গড়ে উঠছে নানা অবকাঠামো। একই সঙ্গে চলছে বনায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ।
সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে ২০১৩ সালে চরটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরপরই পাল্টাতে শুরু করে স্বর্ণদ্বীপের দৃশ্যপট। প্রথমেই জলদস্যুদের রাজত্বের অবসান ঘটে। নোয়াখালীর সুবর্ণ চর, চট্টগ্রামের দ্বীপ ও উপকূলীয় জনপদসহ আশপাশের এলাকা হয়ে ওঠে নিরাপদ। দীর্ঘদিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান স্থানীয় লোকজন। সম্ভাবনা জাগিয়ে তৈরি হয়েছে জীবিকা সন্ধানের নতুন নতুন পথ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে গড়ে তোলা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার। প্রাকৃতিক নানা ভাঙা-গড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে এসব তৈরি করছে সেনাবাহিনী।
বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণের জন্য স্বর্ণদ্বীপ সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বলে জানিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে শুধু শীতকালে আনুমানিক পাঁচ মাস সীমিত এলাকায় প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায়। বছরের অন্যান্য সময় দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
1272e362-63a5-43e7-aa94-d7aed5b697cf | ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ইগল, অক্টোপাস, মৌচাক, আগুন পাখি, ফিনিক্স, চরকি লেজ, পাল তোলা জাহাজ, জাতীয় পতাকা—ঘুড়ির নাম এগুলো। এই ঘুড়িগুলোই গতকাল রবিবার উড়ছিল পুরান ঢাকার আকাশে। কাল ছিল পৌষসংক্রান্তির সাকরাইন উৎসব। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, সন্ধ্যায় ফানুস ওড়ানো, গান-বাজনা, আগুন খেলা ও নানা ধরনের পিঠা-পায়েস বানানোর মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হয়।
ঘুড়ি উৎসবে অংশ নিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় সবার হাতে নাটাই। শঙ্খের আনন্দময় শব্দের ফাঁকে ফাঁকে চলছে আতশবাজি। সকাল হতে না হতে ছোট-বড় ভবনের ছাদের ওপরে ঘুড়ি উড়ছে। সময় গড়িয়ে দুপুর হতেই ক্লান্ত বাঁধনহারা শত শত ঘুড়ি কাটা পড়ে আছে সবুজ গাছ, রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে। দিন শেষে ফানুস উড়িয়ে পেছনের সব ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে দেওয়াই যেন সব কিছুর মূল লক্ষ্য।
এ বছর আকাশ কিছুটা মেঘলা ও শীতের মাত্রাটা একটু বেশি হওয়ার কারণে ঘুড়ির সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। এর পরও আকাশজুড়ে দেখা মেলে নানা রঙের বাহারি ঘুড়ির আধিপত্য। পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেণ্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাঁখারীবাজার, সদরঘাট, কোর্ট-কাছারি, শিংটোলা এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সাকরাইন উৎসবের ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমলে এই উৎসবের যাত্রা শুরু। বর্তমানের ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের পরিবর্তে অতীতে ব্যবহার করা হতো কাঁসার শব্দযন্ত্র, শঙ্খ ইত্যাদি। পুরান ঢাকায় এই নির্দিষ্ট একটি দিনে মৌসুমি ঘুড়ি দোকানদারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২০০ এবং ঘুড়ি বিক্রি হয় প্রায় দেড় থেকে তিন লাখ টাকার।
সাকরাইন উৎসব নিয়ে কথা হয় পুরান ঢাকার পঞ্চাশোর্ধ্ব কয়েকজনের সঙ্গে। শিংটোলার আমজাদ, সানোয়ার, সজীব, মেহেদী ও হৃদয় জানান, ছোট থেকে এ উৎসব করছেন তাঁরা। আগে এখনকার মতো সাউন্ড সিস্টেমের গান-বাজনা ছিল না। তবে সে সময় ছিল অকৃত্রিম আনন্দ আর ভোকাট্টা লোটের আকাশস্পর্শী শব্দ।
এদিকে উৎসব উপলক্ষে গতকাল সকালে ‘দিলমে ঢাকা হামকা ঢাকা (হৃদয়ের ঢাকা, আমাদের ঢাকা)’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। এর আয়োজন করে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকাবাসী সংগঠন ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। শোভাযাত্রায় সংগঠনের সভাপতি মো. শুকুর সালেকের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ঘুড়ি ওড়ানো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এই উৎসব এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য গবেষণা করতে হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
182f0c80-5b3f-43cf-902d-f3877faa2fae | ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন যুক্ত হওয়া ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকার অনেকেই জানে না যে এই দুই ওয়ার্ডে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। তবে কাউন্সিলর হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে নির্বাচনের জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
রাজধানীর এক প্রান্তে থাকা এ দুই ওয়ার্ডের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাথায় আগামী নির্বাচন না থাকলেও মাদক নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ আছে। কেননা সেখানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাই মদ ও ফেনসিডিলির মতো সব মাদক। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসাজশ থাকায় প্রশাসনও এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না।
নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ডিএসসিসির এ দুই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ-স্যুয়ারেজ ও সড়ক বাতি নেই বললেই চলে। তবু সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে নাগরিকদের মনে।
সম্প্রতি ডিএসসিসির ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধির বাধ্যবাধকতার কারণে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মাঠে না নামলেও দেয়ালে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে তাঁদের পোস্টার শোভা পাচ্ছে।
এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন শ্যামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সাইজুল, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু, শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান ও শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমেদ ও মো. আলমগীর।
অন্যদিকে এ ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন লাল, মো. সেলিম রেজা ও শফিকুল ইসলামের।
আর জাতীয় পার্টি থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছেন শেখ মাসুক রহমান। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন সুলতানা আহমেদ লিপি আক্তার, বিউটি আক্তার ও সায়েলা রহমান।
তাজুল ইসলাম তাজু বলেন, ‘আমার বাবা ও চাচা মিলে প্রায় ১৮ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি তাঁদের দেখানো পথে চলব। নির্বাচিত হতে পারলে মাদক আর রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে কাজ করব।’
তাজুল ইসলাম তাজু আরো বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মাদক। হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। এটি নির্মূল করাই হবে নির্বাচিত কাউন্সিলরের বড় চ্যালেঞ্জ।’
আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি বর্তমানে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে দায়িত্বে আছি। আমার কাছে ওয়ার্ডের সব সমস্যা পরিষ্কার। নির্বাচিত হতে পারলে সাধ্যমতো চেষ্টা করে তা সমাধান করব।’
৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এ এলাকায় বেশ কিছু সমস্যা আছে। তবে প্রধান সমস্যা মাদক। যদি আমি দল থেকে মনোনয়ন পাই, তাহলে মাদকের স্পটগুলো উচ্ছেদে কাজ করব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয় কয়েকটি স্থানে। এসব মাদক বেচাকেনার নেটওয়ার্কে প্রভাবশালীরা যুক্ত থাকায় পুলিশও তেমন একটা গা করে না। এর মধ্যে একাধিক খুনের আসামি পাতলা রিপন হাই স্কুল রোড এলাকার মাদকের স্পট নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকা সালেহ নিয়ন্ত্রণ করে গ্যাস পাইপলাইন এলাকার স্পট। ডাকাত কুদ্দস নিয়ন্ত্রণ করে নামা শ্যামপুরের স্পট। এ স্পটটি ডাকাত কুদ্দসের হয়ে তার লোকজন পরিচালনা করে।
এলাকাবাসী আরো জানায়, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি কলোনি সংলগ্ন রেললাইনের দুই পাশে বিশাল বস্তি গড়ে উঠেছে শাহজাহানের নামেই। এ জন্য ঘরপ্রতি বিদ্যুৎ বাবদ প্রতি মাসে ৪০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। কোনো ঘরে ফ্রিজ থাকলে দিতে হয়ে আরো ৫০০ টাকা। ওই এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ না থাকলেও তিনি অবৈধভাবে কয়েকটি নলকূপ বসিয়েছেন। ঘরপ্রতি মাসে ৩০০ টাকা নিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়। ওই এলাকায় বাসা ভাড়া প্রতি মাসে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।
অন্যদিকে বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল অপেক্ষকৃত কম। এ দুই ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বেশ প্রভাব রয়েছে। আর সেখানে তাঁর আস্থাভাজন হিসেবে সফিকুল ইসলাম নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে। সে কারণে বিএনপির কাউন্সিলর হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থীও কম।
উল্লেখ্য, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার প্রায় ৩৬ হাজার।
৫৯ নম্বর ওয়ার্ড : স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২৫ হাজার ভোটারের এ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম খান, আমিনুল ইসলাম, শহীদ উল্লাহ মেম্বার এবং বিএনপি নেতা আসলাম মোল্লা ও তাওলাদ হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এ ওয়ার্ডে রাস্তার অবস্থা একেবারেই নাজুক। ড্রেনেজ, স্যুয়ারেজ ও সড়ক বাতি নেই বলেলেই চলে। ডোবা-নালা শিল্প-কলকারখানার বর্জ্যে দূষিত। দুই শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের এ ওয়ার্ডে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয় না। ফলে যে যার মতো ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাস্তাঘাট নোংরা করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে এসব সমস্যা দূর করা অনেকটাই কঠিন হবে বলে মনে করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা ম্যাচ কলোনি বস্তির মাদক স্পটটি রাজধানীর অন্যতম মাদক স্পট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ১৬ বিঘা ১১ শতাংশ জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এই বস্তি। এই বস্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে মাদকের কারবার। গত সোমবার সরেজমিনে এই বস্তিতে গিয়ে বিভিন্ন ঘরে ইয়াবার আসর দেখা গেছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
07bc80fb-1a27-4057-94b7-40b8c5609612 | এবার ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাটে নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার আশা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কম্পানি (বাপেক্স)। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। অনুসন্ধান কূপ খনন পর্যায়ে নতুন এ গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি হবে দেশের ২৭তম গ্যাসক্ষেত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এই আশার কথা জানান।
এর আগে ভোলারই বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে গ্যাস পায় বাপেক্স। ‘ভোলা ইস্ট-১’ নামে এই ক্ষেত্রে পৌনে এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর নতুন ক্ষেত্র ‘ভোলা নর্থ-১’-এ আরো ৬০০ বিসিএফ মজুদ থাকলে ভোলায় গ্যাসের মজুদ দাড়াবে ১ দশমিক ৫ টিসিএফ।
নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়ে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও আপনাদের বলেছিলাম, ভোলায় আমরা গ্যাস পেয়েছি (গত অক্টোবরে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলক উত্তোলন)। নতুন আরেকটা কূপ খনন করে সেখানেও প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে (ভেদুরিয়ার মাঝিরহাটে)।’
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন ওই ক্ষেত্রে ৬০০ বিসিএফ গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে দেশের ২৭তম গ্যাসক্ষেত্র। সেখানে খনন করা হলে আরো গ্যাস পাওয়া যাবে বলে সরকার আশা করছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভোলায় গ্যাসের সন্ধানে আরো কূপ খননের ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্বীপ জেলা ভোলায় বিদ্যুেকন্দ্র করে সেখানে এই গ্যাস ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে পাইপলাইনের মাধ্যমেও ওই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে নিয়ে আসা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন থেকেই ভেদুরিয়ায় গ্যাসকূপ খননের সময় গ্যাসের স্তর অনুভব করতে পারছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে মনে করা হচ্ছে, এখানে গ্যাস রয়েছে।
বাপেক্সের খনন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, গত ৭ জানুয়ারি তিন হাজার ২৩৬ মিটার থেকে তিন হাজার ২৪৫ মিটার গভীরতায় খননের পর্যায়ে ৯ মিটারের একটি গ্যাস স্তর আছে বলে মনে করা হয়। এরপর গত ১০ জানুয়ারি কূপের তিন হাজার ২৬০ থেকে তিন হাজার ২৮৫ মিটার গভীরতায় ২৫ মিটারের আরেকটি গ্যাস স্তর রয়েছে বলে বোঝা গেছে। কূপটি তিন হাজার ৪৫০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে। তবে ডিএসটি (উন্নয়ন কূপ) না করা পর্যন্ত গ্যাসের মজুদ এবং অন্যান্য বিষয়ে নিশ্চিত ধারণা পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের বাইরে রয়েছেন। এ বিষয়ে অন্য কর্মকর্তারা কোনো কথা বলতে চাননি।
বাপেক্সের আবিষ্কৃত ভেদুরিয়ার এ গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ করছে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। এ ক্ষেত্রের গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে সরবরাহ করার কথা ভাবছে সরকার। এতে খুলনায় মৃত শিল্পাঞ্চল আবার প্রাণ ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের।
গত ৯ ডিসেম্বর এই গ্যাসকূপ খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় পৌনে এক টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বাপেক্স। ভোলা পূর্ব নামে এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে ভোলা উত্তর গ্যাসক্ষেত্রটির দূরত্ব প্রায় ৩৭ কিলোমিটার।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী দেশের স্থলভাগে ১০৮টি কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভোলায় গ্যাসপ্রম প্রায় ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন করছে। এর আগে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করলেও সেখানে গ্যাস পাওয়া যায়নি।
দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যদি আর কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হয় তাহলে এ মজুদ ২০৩০ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া নতুন গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কারের লক্ষ্যে আজারবাইজানের সাকার, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও চীনের সিনোপ্যাককে দিয়ে সরকার ১৩টি অনুসন্ধানকূপ খননের পরিকল্পনা করেছে। গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসার আগেই স্থলভাগের সব জায়গায় অনুসন্ধান চালাতে চায় সরকার।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
9c489b0e-fba6-42cc-a978-ff300cd6d13d | ব্যায়াম বা এক্সারসাইজের কথা এলে সবার আগে অনেকের চোখে ভেসে ওঠে ট্রেডমিল নামের যন্ত্রটা। শরীরচর্চাকে যারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখে, তাদের অনেকেরই বাসায় এটি দেখতে পাওয়া যায়। যাদের নেই, তারা অবশ্য জিমে গেলে এই যন্ত্রটির সঙ্গে কিছু সময় পার না করার কথা চিন্তাই করতে পারে না। অনেকেরই ধারণা, ট্রেডমিলে দৌড়ালে সুফলের শেষ নেই। এমন ধারণা মোটেও ঠিক নয়। এটা ঠিক, ট্রেডমিলে দৌড়ানোর সুফল অনেক। কিন্তু এ যন্ত্রটি ব্যবহার না করেও এই যন্ত্র ব্যবহারের সুফল সহজেই যে কেউ পেতে পারে। এ জন্য ট্রেডমিল যেমন কেনার দরকার নেই, তেমনি প্রয়োজন নেই জিমে যাওয়ার। শুধু দরকার সিঁড়ি আছে, এমন বিল্ডিং। হ্যাঁ, সিঁড়িতেই সেরে নেওয়া যায় ট্রেডমিলের ব্যায়াম। ট্রেডমিল ও সিঁড়ির ব্যায়ামে সুবিধাগুলো আমরা এবার দেখে নেব।
টেড্রমিলের ব্যায়াম
ক্যালরি খরচ : ট্রেডমিলে সঠিক গতি ঠিক করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ যন্ত্রটিতে ৩০০-৪০০ ক্যালরি খরচ হয়। তবে কেউ কেউ মনে করে, ট্রেডমিলের তুলনায় বাইরে দৌড়ানো অনেক উপকারী।
যেসব অঙ্গের উপকার : ট্রেডমিলে সাধারণত পায়ের বিভিন্ন অংশের উপকার হয়।
অন্যান্য উপকার : ওজন কমা, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি হয়।
ট্রেডমিলের সমস্যা : যথেষ্ট দামি হওয়ায় প্রথমত ব্যক্তিগতভাবে ট্রেডমিলের ব্যবস্থা করা সবার জন্য সহজ নয়। তা ছাড়া এটির কার্যপদ্ধতি ঠিকমতো জানা না থাকলে ইনজুরির শঙ্কা থাকে।
সিঁড়ির ব্যায়াম
ক্যালরি খরচ : সিঁড়িতে ব্যায়াম করলে শুধু যে ক্যালরি খরচ হয় তা নয়, হৃদ্যন্ত্রেরও উপকার হয়।
যেসব অঙ্গের উপকার : ট্রেডমিলে পায়ের বিভিন্ন অংশের উপকার হয়।
অন্যান্য উপকার : ওজন কমা, মাংসপেশির গঠন ও কোমরের উপকার হয়।
সিঁড়িতে ব্যায়ামের সমস্যা : সিঁড়িতে ব্যায়াম করলে যেমন উপকার আছে, তেমনি আছে ইনজুরির শঙ্কা। হাঁটুতে বড় ধরনের চাপ পড়ায় সব সময় সিঁড়িতে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
5afcaa56-e415-440d-8299-b576069572ca | একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দিন ধার্য করেন।
গতকাল এ মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম প্রতিবেদনটি দাখিল করেন এবং এটি যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে তিন মাস সময় চান। শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি হত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।
একাত্তরে স্থানীয় শান্তি কমিটির দুর্ধর্ষ ও দাপুটে সদস্য হিসেবে ফিরোজ খাঁ তাঁর এলাকায় বেশ আলোচিত বলে জানা যায়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ মুক্তিযুদ্ধের আগে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হন তিনি। ওই সময় পুঠিয়ার ভালুকগাছি ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর হয়ে এ আসামি পুঠিয়া ও দুর্গাপুর এলাকায় এসব অপরাধ ঘটান। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় চার সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা ও ২১ জনকে নির্যাতন ছাড়াও অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিরোজ খাঁর পূর্বপুরুষরা ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে আসা। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সেখানে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তদন্ত সংস্থা জানায়, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ফিরোজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তদন্ত করে তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্ত শুরুর আগেই পাঁচ অভিযুক্ত মারা গেছেন। আসামি আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ একাই বেঁচে আছেন। তদন্তের সময় নাশকতার এক মামলায় গ্রেপ্তার হন ফিরোজ খাঁ। পরে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না... |
Subsets and Splits