document_id
stringlengths
36
36
text
stringlengths
253
70.2k
fcfda8b9-93c2-447a-84d1-8e23d2876b03
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে নানা গুজবে টালমাতাল পরিস্থিতি। একের পর এক গুজবে ভর করছে পুঁজিবাজার। ফলে শনির দশা কাটছে পুঁজিবাজারের। একটি চক্র পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে একের সময় এক গুজব ছড়াচ্ছে। এরা গুজব ছড়িয়ে বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মাঠে নামছে। পেছনে কাজ করছে কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ। বর্তমান বাজারে নতুন গুজব কর্মাস ব্যাংক সিকিউরিটিজের এভিপি সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ। সাইফুল ইসলামকে টার্গেট করে তারা নতুন মিশনে নেমেছেন। কারন পুঁজিবাজার যখন অস্থিতিশীল ছিল তারা কোন মতো বাজার স্থিতিশীল করতে পারেনি । ঐ অস্থিতিশীল পুঁজিবাজারকে কে স্থিতিশীল বাজারের রুপরেখার কাজ করেছিল কর্মাস ব্যাংক সিকিউরিটিজ। ফলে ঐ চক্রটির শত্রু হয়ে গেছে সাইফুল। এ কারনে সাইফুল ইসলামে নিয়ে একেক সময় একেক গুজব ছড়াচ্ছে। অস্থির পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীলতার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড। গত কিছুদিন ধরেই লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছিল কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায়ও ছিল ব্রোকারেজ হাউসটি। এই হাউসের বিনিয়োগকারীরাও অন্যদের তুলনায় বেশ ভাল মুনাফা করেছে বলে তারা জানান হাউজটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসইর তালিকাভুক্ত আরও কিছু প্রভাবশালী হাউস বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষোভের শিকার হয় হাউসটি। এছাড়া এক শ্রেণীর কুচক্রি বিনিয়োগকারীও হাউসটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছেন বিভিন্ন মহলে। মূলত বাজারে এই নেতিবাচক প্রচার চালানোর কারণেই বেশ কিছু কোম্পানির ক্রেতা সঙ্কট দেখা দেয়। যদিও কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ তার পদত্যাগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয় সাইফুল ইসলাম নিজেও পদত্যাগের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, অন্যদিনের মতো বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। নিজেদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি নেই। অভিযোগ উঠছে, পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীলতার পেছনে বিএনপি জামায়াত পন্থী কিছু ব্রোকারেজ হাউজের মালিক ও সিন্ডিকেট চক্র ও মার্চেন্ট ব্যাংক এ অস্থিরতার গুজব ছড়াচ্ছে। এরা পরিকল্পিত ভাবে পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে নীতিনির্ধারকদের চাপে ফেলতে পুঁজিবাজারে পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে স্বার্থান্বেষী মহল। সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কঠোর অবস্থানের পর ও এ মহলটি পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ স্থানীয় একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, গত কিছুদিন ধরে টানা পতন থাকলেও কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা অন্যদের তুলনায় ভাল করেছেন। এতে বাজারের অন্যপক্ষ খুব ভাল চোখে দেখেনি। এছাড়া যখন সরকার বাজারকে একটি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, সেখানে এক শ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারী বাজারকে অস্থিতিশীল করতে কখনও মুদ্রানীতির নামে আবার কখনও কোন ব্রোকারেজ হাউস সম্পর্কে নেতিবাচক গুজব ছড়িয়ে ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন। গুজবের প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, এই ধরনের গুজবের কোন ভিত্তি নেই, এটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এবং পুঁজিবাজারের পরিবেশ নস্ট করার জন্য একশ্রেনীর মানুষ এ গুজব ছড়াচ্ছে। আমাকে কেন সাসপেন্ড করা হবে? আমার বিরুদ্বে তো কোন অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মন্দা পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীলতার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। এটা যদি আমার অপরাধ হয় তা হলে আর কি বলব। বর্তমান সরকার পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ও সাধ্যমত চেষ্টা করছি। বাজারে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হতে না হতে একটি চক্র ঘাপটি মেরে থাকা নানা গুজব ছড়াচ্ছে। বর্তমান পুঁজিবাজারে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তবে নানা গুজবের কারণেই গত কয়েক দিনে পুঁজিবাজার টালমাতাল পরিস্থিতি। এর প্রভাবে প্রায় নিয়মিতভাবে কমছে অধিকাংশ শেয়ারের দর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার পুঁজিবাজারকে যে কোন মুল্যে স্থিতিশীল রাখবে। ২০১০ সালের অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুঁজিবাজারের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে আসছে। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও সব রকম নেতিবাচক প্রবণতা বন্ধ করে দেশের পুঁজিবাজারকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ কোন মহল যাতে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটে নিতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষনিকভাবে এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখছে। এ বিষয় কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মোতালেব চৌধুরী দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করবে কেন ? পদত্যাগের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমাদের মাঝে আছেন এবং ভবিষ্যতে থাকবেন।
cc3a9a85-21c9-4902-968b-66855e215559
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অফশোর কোম্পানি খুলে ৮০ লাখ ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে আরএকে সিরামিকের লিমিটেডের পরিচালক বিএনপি নেতা এস এ কে ইকরামুজ্জামানসহ ৯ ব্যবসায়ীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই নয়জন যেন দেশছাড়তে না পারেন- সেই ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন- এমন তথ্য থাকায় তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু, আরএকে সিরামিক লিমিটেড ও আরএকে পেইন্টস লিমিটেডের পরিচালক বিএনপি নেতা এস এ কে ইকরামুজ্জামান, তার ছেলে আরএকে কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক মো. কামারুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসাইন, পরিচালক এম এ মালেক, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, রোজা প্রোপার্টিজ লিমেটেডের মো. আসফাক উদ্দিন আহমেদ, আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুল করিম এবং আরএকে পেইন্টস লিমেটেডের পরিচালক সাইলিন জামান আক্তার। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে আট মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬৫ কোটি টাকা) দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এতে বলা হয়, তারা বিদেশে অফশোর কোম্পানি খুলে মানিল্ডারিং ও হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুনে এ-সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান দলের আরেক সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
7c02fcbc-957f-4861-8d6b-31c925bba3f2
আলমগীর হোসেন, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসছে চীন। চীনা কনসোর্টিয়ামের অংশগ্রহণ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের পুঁজিবাজার নতুন করে উপস্থিত হচ্ছে। এমনিতেই পুঁজিবাজারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন এক লাখ ৬৪ হাজারের বেশি প্রবাসী, এক বছর আগে যার সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫১ লাখ। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর হাতের নাগালে রয়েছে, যে কারণে প্রবাসীদের এই মার্কেটের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চীন কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় আগামীতে প্রবাসীদের বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। চীনের দুই পুঁজিবাজার সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) দিচ্ছে ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা। ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে ২৫ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে এ টাকা দিচ্ছে চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসইর অংশীদার হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়াম পুঁজিবাজরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদায় উন্নীত হচ্ছে। অন্যদিকে তারল্য সংকটের বাজারে ডিএসইর ২৫০জন শেয়ারহোল্ডার বিনিয়োগ করবেন। ফলে বাজারের তারল্য সংকট কিছুটা কমবে বলে প্রত্যাশা বাজার সংশ্লিষ্টদের। চীনের কাছ থেকে পাওয়া এ টাকার ৮০-৯০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে বলে আশা করেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ডিএসইর ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে চীনা কনসোটিয়ারে কাছে। সেই চুক্তি অনুসারে চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ঈদের পর অর্থাৎ আগস্ট মাসের শেষদিকে টাকা দিচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে হয়তো সেটা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিবে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট দূর করতে এই টাকা বিনিয়োগ করবো। সেই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীকে একটি প্রস্তাবও দিয়েছি যাতে করে এই টাকার ওপর কর প্রত্যাহার করেন। ডিএসই সূত্র জানায়, এই টাকা জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট করাসহ অন্যান্যসব কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন সর্বশেষ এ টাকার ওপর থাকা ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক ০১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে। এ দাবিসহ সব কিছু ঠিকঠাক পূরণ হলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে এই টাকা পাবে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাররা। নয় তো সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হবে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখা ও বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করতে ডিএসইর শেয়ারের ওপর ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহারের কথা বলেছি। এটি হলে আমরা সব টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবো। তাতে বাজারে ফ্রেশ ফান্ড আসবে। তারল্য সংকট কিছুটা দূর হবে। পাশাপাশি শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চেয়েছি, এটি দেওয়া হলে পুরো টাকা ডিএসইর উন্নয়নে ব্যয় করবো। এ টাকায় ডিএসইতে ডাটা সেন্টার ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট করপোরেশন করা হবে। কারণ চীনা করসোটিয়াম ৩৭ মিলিয়ন ডলার অর্থদিবে কারিগরি সহযোগিতায়। সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সাংহাই ও শেনজেন চীনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুঁজিবাজার। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সেরা দশ স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকায়ও রয়েছে এ দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। ফলে তারা ডিএসইর মালিকানায় আসায় দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদা পেয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে। এ ছাড়াও কারিগরিভাবে শক্তিশালী হবে বলে জানান তিনি। চলতি বছরের ১৪ মে রাজধানীর লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ডিএসইর স্ট্রাটেজিক পার্টনার (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) হিসেবে সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে চীনা স্টক এক্সচেঞ্জ। অনুষ্ঠানে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান, শেনজেনের প্রেসিডেন্ট ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ওয়াং জিয়ানজুন এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জর চেয়ার অব সুপারভাইজরি বোর্ডের প্যান জুইজিয়ান চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন, ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম, ডিএসইর পরিচালক ও সদস্য এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তার আগে নানা টালবাহার পর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের আবেদনের প্রস্তাব গত ৩ মে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। ডিএসইর এ মালিকানা পেতে চীনা কনসোর্টিয়াম ছাড়াও ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফ্রন্ট্রিয়ার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক-এর কনসোর্টিয়াম আবেদন করেছিলো।
07f6d1d9-7529-4826-9731-01f31f6009ba
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমান। এর প্রভার পেড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণেও। এই প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে নতুন করে প্রভিশন ঘাটতিতে পুঁজিবাজারে ৬ ব্যাংক। ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রভিশন (খেলাপি ঋণে গ্রাহকের আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের সঞ্চিতি) ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। একইসঙ্গে প্রভিশন ঘাটতির তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে আরও ৭টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। আগের বছর একই সময়ে প্রভিশন রাখতে অসমর্থ্য ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ৬টি। এক বছরে প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ ব্যংকের সংখ্যা যোগ হয়েছে ৭টি। প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হওয়া ব্যাংকের তালিকায় নতুন যোগ হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক রয়েছে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো হচ্ছে: এবি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আগে থেকেই প্রভিশন ঘাটতির কবলে নিমজ্জিত ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ছিল: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকিং খাতের মোট প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১০ হাজার ৯৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এক বছর আগে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এক বছরে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রাহকের কাছে থাকা ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫২১ কোটি ৯২ হাজার টাকা। এক বছর আগে একই সময়ে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ৬২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যা সাধারণত মুনাফা থেকে রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের তিনটি স্তর রয়েছে। সেগুলো হলো: সাব স্ট্যান্ডার্ড বা কম মাত্রার খেলাপি ঋণ; ডাউটফুল বা মধ্যম মনের খেলাপি এবং ব্যাড অ্যান্ড লস বা মন্দমানের ঋণ। তিন ধরনের ঋণের বিপরীতে তিন রকমের প্রভিশন রাখতে হয়। ব্যাংকগুলোকে সাব স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে ২৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। ডাউটফুল ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাড অ্যন্ড লস মানের ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। যাতে গ্রাহক চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক দিতে পারে। তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হবে ৪৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু ১৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১০ হাজার ৯৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কম রেখেছে। সম্প্রতি ফারমার্স বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতির ইস্যুটি নতুন করে সামনে চলে এসেছে। বিশেষ করে ফারমার্স ব্যাংকের কেলেঙ্কারির পর গ্রাহকরা আমানত ফেরত পেতে ব্যাংকটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সে সময় ব্যাংকটি কিছু পরিচালকের অসৎ উপায়ে ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়া ও অস্থানে ঋণ বিতরণ করার ফলে তারল্য সংকটে পড়ে। পাশাপাশি নতুন ব্যাংক হওয়ার পরও ব্যাংকটির খেলাপি বেড়ে যায়। সব মিলে ব্যাংকটি কার্যত দেউলিয়া হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সরকার ৭২০ কোটি টাকা দিয়ে ৭০ ভাগ শেয়ার কিনে নেওয়ার পর ব্যাংকটির সমস্যা সাময়িকভাবে দূর হয়। আগে থেকে ব্যাংক পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভিশন রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ফারমার্স ব্যাংক দুর্নীতির পর থেকে প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে কড়াকড়ি জারি করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
75a61805-9e45-4ee6-8f9c-251047b29074
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনা জোটের কাছে এক-চতুর্থাংশ শেয়ার বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যরা। মূলধনী কম্পানির ওপর করহার ১৫ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর কমানোয় আগামী তিন বছর পর্যন্ত চীনা জোট থেকে পাওয়া ৯৪৭ কোটি টাকা পুঁজিবাজারেই বিনিয়োগ করবেন তাঁরা। এর ফলে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ ঢুকতে যাচ্ছে। এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। গত ১২ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে প্রাপ্ত অর্থে কর সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিএসই ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন থেকে চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন টেক্স মওকুফের জন্য আবেদন করা হয়। পুঁজিবাজারের সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে কর সুবিধা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ওই অর্থ পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৩ বছরের জন্য বিনিয়োগের শর্ত দেন তিনি। তাহলে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ গেইন টেক্স চার্জ করা হবে। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ি, চীনা কনসোর্টিয়ামের থেকে প্রাপ্ত ৯৪৭ কোটি টাকার উপর ৫ শতাংশ হারে ৪৭ কোটি টাকার কেপিটাল গেইন টেক্স দিতে হবে। আর বাকি ৯০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) রজত জয়ন্তীতে গত বুধবার সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শর্তসাপেক্ষে গেইন ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গেইন ট্যাক্সে ১০ শতাংশ করছাড় পেলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ পাবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। আর চীনা জোটের কাছে বিক্রি করা শেয়ারের অর্থ পুরোটাই পুঁজিবাজারে এলে তারল্য প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। ব্রোকাররা বলছেন, মূলধনী প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। তারল্য সংকট কাটাতে গেইন ট্যাক্সে ছাড় পেলে পুরো অর্থই আগামী তিন বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে থাকবে। তারল্য প্রবাহ বাড়লে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার সক্ষমতা বাড়বে। অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলে, আমরা করহার কমিয়ে পুরো অর্থই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কথা বলেছি। কৌশলগত অংশীদারের কাছে শেয়ার বিক্রির অর্থ ব্রোকারেজ হাউসগুলোরই, কারণ তারাই ডিএসইর শেয়ারের আইনগত মালিক। তারা বলছে, ২৫ শতংশ শেয়ার বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থই আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করব। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে। ব্যাংক খাতের আর্থিক সংকটে পুঁজিবাজারেও অর্থের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে টাকা নেই। ব্রোকারেজ হাউসগুলো পুঁজিবাজারে ৯৪৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে বাজার গতিশীল হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, চীনা জোটকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে পেতে সরকারের অনুমতি পাওয়ার পরই মূলধনী কম্পানির মুনাফায় ছাড় পেতে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি ও পরবর্তী সময়ে বৈঠকও করেছি। অর্থমন্ত্রী বাজারে নতুন অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধিতে করছাড়ে একমত হন; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কিছুই বলেনি। এ নিয়ে একটা টানাপড়েনের মধ্যেই ছিল ব্রোকারেজ হাউসগুলো। জানা যায়, ডিএসইর ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ শেয়ারের মালিক ২৫০ জন সদস্য। শতকরা হিসাবে প্রত্যেক সদস্যের শেয়ার ০.৪ শতাংশ বা ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১০৬টি। সদস্যদের মোট শেয়ার থেকে কৌশলগত অংশীদারের কাছে ২৫ শতাংশ বা ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার বিক্রি করেছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। প্রতিটি শেয়ার ২১ টাকা মূল্যে এই শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬২৫ টাকা। হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা থেকে ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স বাদ দিলে মূলধন দাঁড়ায় ৮০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৩১ টাকা। অর্থাৎ ১৪২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। বিদ্যমান ঘোষণা অনুযায়ী, এই করহার ৫ শতাংশ করা হবে। অর্থাৎ ব্রোকারেজ হাউসগুলো ১০ শতাংশ করছাড় পাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই করছাড় পেলে সরাসরি উপকৃত হবেন ব্রোকাররা। আর সেই অর্থ পুঁজিবাজারে এলে শেয়ারের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে কিছু সুবিধা পাবে সাধারণ বিনিয়োগকারী। ৫ শতাংশ কর পরিশোধের পর ব্রোকাররা পাবেন ৮৯৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৩ টাকা। ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার পর পাওয়ার কথা ৮০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৩১ টাকা। সে হিসাবে ব্রোকাররা এখন ৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৬২ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রত্যেক ব্রোকার অর্থাৎ ২৫০ জনের প্রত্যেকে পাবেন তিন কোটি ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪১ টাকা। ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, গত ২৯ মে অর্থমন্ত্রীর কাছে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে প্রাপ্য ৯৪৭ কোটি টাকার উপর ক্যাপিটাল গেইন টেক্স আরোপ না করার জন্য ডিএসই ও ডিবিএ’র নেতৃবৃন্দ আবেদন করেছিলাম। এছাড়া ওই অর্থ শহজ শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিলাম। অর্থমন্ত্রী আমাদের সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। এজন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর কর সুবিধা ঘোষণা ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক খবর। কারণ এই ঘোষণার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগের দ্বার উম্মোচন হয়েছে। এতে করে বাজারে গতি বৃদ্ধি পাবে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই করহার ছাড় দিয়ে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা বলেছিলাম, গেইন ট্যাক্স কমানো হলে সব অর্থই আগামী তিন বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করব। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে আমরাও বলতে চাই, আমরা এই অর্থ পুঁজিবাজারেই বিনিয়োগ করব। এটি বাজারের তারল্য সংকট কাটিয়ে নতুন অর্থের প্রবাহ সৃষ্টি করবে। শুধু পুঁজিবাজারের উন্নতিকল্পেই এই বিনিয়োগ করব আমরা।’ ডিএসইর এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আসা পুঁজিবাজারের জন্যই ভালো হবে, তারল্য সংকট কাটবে। করছাড় নিয়ে শর্তসাপেক্ষে বিনিয়োগের বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রাখার পক্ষে তিনি। তিনি বলেন, ১০ শতাংশ কর কমালে ব্রোকাররা প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি পাবেন। শেয়ার বিক্রির টাকা বিনিয়োগ করবেন বলে তাঁরা যেন আবার উঠিয়ে না নেন, সেটা দেখভাল করতে হবে।
1491dfc5-4da4-4ff6-a788-f84f78595793
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে মন্দাভাব দেখা দিলেও আইটি খাতের তালিকাভুক্ত ইনটেকের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দাম ২ মাসের মাথায় ৬৭.৮০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ইনটেক অনলাইনের শেয়ারের দাম এমন অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। তবে আইটি খাতের কোম্পানি ইনটেক লিমিটেড বাংলাদেশে এমাজন ওয়েব সার্ভিস দেবে এ খবরের পর টানা বাড়ছে এ কোম্পানির শেয়ার দর। সম্প্রতি কোম্পিানিটি এ বিষয়ে ভারতের মিনফি টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ‘এক্সক্লুসিভ কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট’ সম্পন্ন করেছে। এমাজন ওয়েব সার্ভিস দেওয়ার চুক্তি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের রেনিয়াল সিস্টেমস ইনকরপোরেশনের সঙ্গে ইনটেক লিমিটেডের আরো একটি বাণিজ্যিক চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করবে ইনটেক। এর পর থেকে বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে ইনটেক লিমিটেডের দর। তেমনি নতুন করে ইনসাইডার ট্রেডিং’র অভিযোগ উঠেছে ইনটেক লিমিডের বিরুদ্ধে। আর এ ইনসাইডার ট্রেডিং ও কারসাজির মুল নেপেথ্যে চলছে শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউজ বিরুদ্ধে। এর ঐ ব্রোকারেজ জাউজের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে আলোচনার এসেছে ব্রোকারেজ হাউজটি। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো পুঁজি করে প্রতারণা করে চলছে। টানা ম্যানুপুলেটেড করে শেয়ারের দর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এতে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী লাভবান হচ্ছেন। তবে লুট হচ্ছে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর সম্বল। আইন-কানুন কিংবা নজরদারি কোনো কিছু দিয়েই প্রতারকদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইনটেকের শেয়ারদর সম্প্রতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। গত তিন মাস ধরেই এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। আর গত এক মাসে এই দর বৃদ্ধির হার আরও বেড়েছে। এক মাস আগে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয় ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়। এরপর থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে দর। সর্বশেষ গতকাল এ শেয়ার লেনদেন হয় ৬৭.৮০ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি শেয়ারদর বাড়ছে প্রায় চার গুন। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতও (পিই) অনেক বেশি। বর্তমানে ২৩১.১৪ তে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের পিই। ব্যাকরণগতভাবে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিকে সহজভাবে নিচ্ছেন না বাজার-সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা আগের চেয়ে বাড়লেও সে তুলনায় দর বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এই শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে এমন মন্তব্য করেন তারা। অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি নজর এড়ায়নি ডিএসই কর্তৃপক্ষের। যে কারণে তারা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে। জবাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে দর বৃদ্ধি পাওয়ার মতো কোনো সংবেদনশীল তথ্য নেই। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৭-মার্চ ২০১৮) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ১৪ পয়সা। সর্বশেষ বছরে প্রতিষ্ঠানটি দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা মুনাফা করে। অন্যদিকে শেয়ারহোল্ডারদের সন্তোষজনক রিটার্ন দেওয়ার নজির নেই কোম্পানিটির। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইনটেক। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা ৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। এদিকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাববছরেও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছেন ইনটেক শেয়ারহোল্ডাররা। সে সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা দুই পয়সা। এ ক্যাটেগরির প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা, মূলধন ২৮ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ৫২ লাখ টাকা। এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা দুই কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৩২১টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে কোম্পানির মাত্র চার দশমিক ৭৭ শতাংশ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং বাকি ৮৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ারই সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে। সুত্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ
9bc14423-b12e-43ef-bffc-b6892d41ffd4
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বিনিয়োগ মন্দায় চলছে দেশের আর্থিক খাত। খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অধিকাংশের মুনাফায় টান পড়েছে। তারপরেও কিছু ব্যাংক মুনাফা কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে। মাঝে মাছে বাড়ছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম, ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন গ্রাহক। এসবের বিরুদ্ধে এবার তদন্তে নামবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যাংকিং খাতের যেকোনো ধরনের অনিয়ম বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, যেসব ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদনে মুনাফার উল্লম্ফন দেখিয়েছে তাদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকাভুক্ত এসব ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো সাধারণত গ্রাহক বাড়াতে পরিচালন মুনাফা বাড়িয়ে দেখাতে পারে। তবে পরবর্তী ঋণ রিকভারি করার সময় তা ধরা পড়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এদিকে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ যত বেশি থাকে ওই ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত মুনাফা তত কমে যায়। খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা মেনে চললে কোনো ব্যাংকের বেশি মুনাফা হবার কথা নয়। এ ছাড়া ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য আয় আসে এলসি কমিশন থেকে। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলে ব্যাংকগুলো উলেখযোগ্য মুনাফা করে। কিন্তু বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকটের পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমানতকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ, খেলাপি ঋণের প্রভিশন ও প্রাপ্য কর পরিশোধের পর এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত মুনাফার আসল চিত্র ফুটে উঠবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটাকে মুনাফা না বলে ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের আংশিক চিত্র বলা যায়। উচ্চ সুদের কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে না। সূত্রে জানা গেছে, এসব ব্যাংকের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় এসব ব্যাংকের অস্বাভাবিক মুনাফা বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ৭ ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি- জুন ১৮) ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা কৃত্রিম বা অতিরঞ্জিত মুনাফা দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫টি ব্যাংকের লোকসানকে আড়াল করে কৃত্রিম মুনাফা দেখানো হয়েছে। আর ২টি ব্যাংকের মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এই কৃত্রিম মুনাফা দেখানোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। প্রদত্ত ঝুকিপূর্ণ ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতিবাবদ (প্রভিশনিং) ব্যয় না দেখিয়ে এই কৃত্রিম মুনাফা দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা চলতি বছরের প্রথমার্ধের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রথমার্ধে কৃত্রিম ও বেশি মুনাফা দেখানো তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে: এবি ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে নতুন করে প্রভিশনিং ঘাটতিতে পড়েছে। আর প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রভিশনিং ঘাটতি বেড়েছে। ওই সময় ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় বা যথাযথ সঞ্চিতি গঠন না করে বা ব্যয় না দেখিয়ে কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়েছে। এবি ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রভিশনিং ঘাটতির মাধ্যমে ১৪৭ কোটি টাকা বেশি মুনাফা দেখিয়েছে। এছাড়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩৬৮ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক ২১ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৬ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৩১৮ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ৩৭ কোটি টাকার কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়েছে। এদিকে এবি ব্যাংক চলতি বছরের প্রধমার্ধে প্রভিশনিং ঘাটতির মাধ্যমে শেয়ারপ্রতি ১.৫৫ টাকা লোকসানের পরিবর্তে ০.৩৯ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে। এছাড়া সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক শেয়ারপ্রতি ৪.১২ টাকা লোকসানের পরিবর্তে ০.৪১ টাকা মুনাফা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৩৩ টাকা লোকসানের পরিবর্তে ১.৫২ টাকা মুনাফা, ন্যাশনাল ব্যাংক ০.৬৪ টাকা লোকসানের পরিবর্তে ০.৫৬ টাকা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১.৫৪ টাকা লোকসানের পরিবর্তে ০.৫০ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে। আর আইএফআইসি ব্যাংক ০.২৭ টাকার পরিবর্তে ০.৪৩ টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ০.৪৬ টাকার পরিবর্তে ০.৯৭ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে। এর আগে প্রভিশনিং ঘাটতির মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক অতিরঞ্জিত মুনাফা দেখিয়েছে। তবে চলতি বছরের ৩০ জুনে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সেই প্রভিশনিং ঘাটতি কমে এসেছে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ঘাটতি ২৭৫ কোটি টাকা থেকে কমে প্রায় ৪৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রভিশনিং ঘাটতি ৭৯ কোটি টাকা থেকে ৩৭ কোটি টাকা বেড়ে ১১৬ কোটি টাকায় ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা থেকে ৩১৮ কোটি টাকা বেড়ে ৪৭৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
315ccfe7-c468-48a4-9792-b5e876a176f8
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইভেন্স টেক্সটাইল কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের নি:স্ব করেছে। বিনিয়োগকারীদের টাকায় ব্যবসা করলেও সমাপ্ত অর্থবছর শেষে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দিচ্ছে না। অথচ কোম্পানি ঠিকই ব্যবসা করেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। ইভেন্স টেক্সটাইল কোম্পানির পরিচালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে ইভেন্স টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেডের ঘোষিত ডিভিডেন্ডে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। ঘোষিত ডিভিডেন্ডের পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে একাধিক বিনিয়োগকারীরা। এদিকে ইভেন টেক্সটাইলের দুর্বল মৌলভিত্তি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনুমোদন নিয়ে বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার-সংশ্লিষ্ট সবার মনেই ছিল নানা প্রশ্ন ও সংশয়। এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের সঙ্গে বিএসইসির বিরুদ্ধে ‘অবৈধ আর্থিক লেনদেনের’ অভিযোগ উঠেছে। নানা সুবিধার বিনিময়ে এসব নিম্নমানের কোম্পানিকে বাজারে আসার সুযোগ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। আবার এসব অভিযোগ যাচাই করার জন্য যে ধরনের নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার ছিল, তাও হয়নি। এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, কমিশন নিজস্ব আইন অনুযায়ী কাজ করে থাকে। এতে কেউ খুশি হন, আবার কেউ অখুশি হন। তা থেকে নানা ধরনের অভিযোগ তোলা হয়। যার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকে না। তবে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কোনো অভিযোগ করেন, তাহলে কমিশন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এদিকে গত পাঁচ বছরে বাজারে আসা নতুন কিছু কোম্পানির অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষপাতিত্ব ও ধীরে চলো নীতি ছিল দৃশ্যমান। আইপিও বিবরণীপত্র বা প্রসপেক্টাসে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে কোনো কোনো কোম্পানিকে আর্থিক জরিমানা করা হলেও একই অপরাধে কয়েকটি কোম্পানির বেলায় একেবারে নিশ্চুপ ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেছেন, ইভেন্স টেক্সটাইলের ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারনা করেছে। আর যদি প্রতারনা না করে তা হলে নো ডিভিডেন্ডের কারন কি? কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসার দু’বছরের মাথায় নো ডিভিডেন্ড ঘোষনা করছে। এ কোম্পানির পরিচালকদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা । ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.১৬ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪.৪৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ২.৮৫ টাকা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এজিএমের সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়। সুত্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ ও দেশ প্রতিক্ষণ ডটকম
0ae507fb-9585-4a8c-a86c-4dc983da225b
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার হিসাবে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের ৯৪৭ কোটি টাকার মধ্যে ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে দেশের পুঁজিবাজারে। আগামী অক্টোবর মাসেই এই অর্থ বিনিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে মানুষের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি তারল্য সংকট দূর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার বলে ডিএসইর ট্রেক হোল্ডারা মনে করেন। কৌশলগত অংশীদার হিসাবে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের টাকা পুঁজিবাজার ঢুকলে বাজারের চিত্র পাল্টে যাবে। বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থা বাড়বে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা এলে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ বাড়াবে। এতে বাজারের গতি বাড়বে। কারন সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকার চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা শেয়ারবাজারে আনতে উৎসে কর ১০ শতাংশ কমিয়েছে। এর ফলে চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে উৎসে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ হারে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ‘চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ আমরা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবো। এ জন্য এনবিআর থেকে একটি এসআরও জারির অপেক্ষা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে যারা চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তিন বছরের জন্য দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন, তাদের উৎসে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ হারে। এ কারণে ডিএসই’র সব সদস্যই চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে চান।’ মো. রকিবুর রহমান আরও বলেন, ‘উৎসে কর ৫ শতাংশ করা হলে বাজারে বিনিয়োগ বেড়ে যাবে এবং বাজারের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়বে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত এসআরও জারি হলেই আমরা বিনিয়োগ শুরু করে দেবো। উৎসে কর ৫ শতাংশ কার্যকর হলে এবং ডিএসই’র সদস্যরা আরও ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করলে; প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নতুন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে।’ এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাররাও এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি এসআরও জারির অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্র বলছে, চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের অর্থ বিনিয়োগের শর্তেই উৎসে কর ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার বিষয়ে গত সপ্তাহে সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎসে কর ১০ শতাংশ কমানোর বিষয়ে এনবিআর কর্মকর্তারা কাজ এগিয়ে রাখলেও এ সংক্রান্ত এসআরও জারি হতে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যরা ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে শেয়ারবাজারে তারল্যের প্রবাহ বাড়বে। এতে বড় বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ বাড়াবেন। ফলে এই বাজারের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ আবারও বাড়তে পারে। এমনকি বিদেশিদের আস্থাও বাড়বে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিচালনায় চীনা দুই প্রতিষ্ঠান আসায় এই পুঁজিবাজারে চীনের বিনিয়োগ আসতে শুরু করবে। এছাড়া, চীনের দুই প্রতিষ্ঠান ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় শেয়ার বাজারে কারসাজি কমে আসবে। তারা যেহেতু বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সেহেতু তাদের দেখে এই বাজারে আরও বিদেশি প্রতিষ্ঠান আকৃষ্ট হবে।’ এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকার ওপর কর সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে এই সুবিধা নেওয়ার জন্য ওই অর্থ তিন বছরের জন্য শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের শর্ত দেন তিনি। ওই অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স চার্জ করা হবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে প্রাপ্ত ৯৪৭ কোটি টাকার ওপর ৫ শতাংশ হারে ৪৭ কোটি টাকার ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। বাকি ৯০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা সরকারকে উৎসে কর ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ দিতে চাই, সেহেতু তিন বছরের জন্য চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের টাকা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আমরা বাধ্য।’ এদিকে, গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রায় ৯৬২ কোটি টাকা ডিএসইর ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। এরমধ্যে স্ট্যাম্প খরচ বাবদ ১৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯৪৭ কোটি টাকা পাচ্ছেন ডিএসইর সদস্যরা। বর্তমানে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন ২৩৭ ব্রোকার। এই হিসাবে প্রত্যেক ব্রোকারের নামে জমা হয়েছে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে। প্রসঙ্গত, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের শর্ত বাস্তবায়নে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রি করা হয়। ইতোমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করেছে ডিএসই। শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জি ওয়েনহাইকে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও করা হয়েছে। সুত্র: দেশ প্রতিক্ষণ
8ae618ac-ffb3-4426-8c64-7082ff6a18b7
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে চলছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার মৌসুম। জুন ক্লোজিং করা বেশ কিছু কোম্পানি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন হারে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। তবে বস্ত্র খাতের ইভেন্স টেক্সটাইলের ডিভিডেন্ডে বিনিয়োগকারীদের কাল হয়ে দাঁড়ালো। বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বস্ত্র খাতের জন্য অভিশাপ ইভেন্স টেক্সটাইল। ডিভিডেন্ড মৌসুম শুরতে হঠাৎ করে নো ডিভিডেন্ড ঘোষনায় ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে লভ্যাংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ১ টাকার বেশী ইপিএস হলেও কোন প্রকার ডিভিডেন্ড দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। তালিকাভুক্তির ৩ বছরের মাথায় পরিচালনা পর্ষদের এমন সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা চরম হতাশ হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা ধরনের কটুক্তি করে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলেছেন, ইভেন্স টেক্সটাইল পুঁজিবাজার থেকে ১৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এই অর্থটা ব্যাংক থেকে নিলে কম করে হলেও ১০ শতাংশের বেশী হারে সুদ প্রদান করতে হতো তাদের। অথচ নূন্যতম লভ্যাংশ প্রদান না করে তারা বঞ্চিত করেছে হতভাগা বিনিয়োগকারীদের। মূলত বিভিন্ন সময়ে অন্যসব কোম্পানির নেয়া হটকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ কঠোর কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেই কোম্পানিগুলো এ ধরনের প্রতারণা ও হঠকারি সিদ্ধান্ত নেয়ার দু:সাহস দেখাচ্ছে বলে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ। এদিকে ভালো মুনাফার পরও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তে ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের (ইটিএল) চেয়ারম্যানকে নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা করছেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজের মালিকানাধীন ইভেন্স টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৬ সালে। পারভেজের পাশাপাশি কোম্পানিটির পর্ষদে রয়েছেন তার স্ত্রী শাবনাম সেহেনাজ চৌধুরী এবং দুই ছেলে শাহ আবেদ চৌধুরী ও শাহ রিয়াদ চৌধুরী। বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তালিকাভুক্তির পরপরই ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডাদের ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এরপর ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হয় ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার। তবে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে এক টাকা ছয় পয়সা। ভালো মুনাফা করেও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নিয়ে গঠিত ফেসবুকের একটি গ্রæপে দুই ছেলের সঙ্গে বসা আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজের একটি ছবি পোস্ট করে মো. আমজাদ হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘ইটিএলের টাকা বিনিয়োগের বৈঠক। বাহঃ কি চমৎকার আড্ডা। সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকা লোপাট করে এখন বাড়ি করার বৈঠক করে। এক ছেলে বলে ফিনল্যান্ডে। আরেক ছেলে বলে সুইজারল্যান্ডে। বৌ বলে লন্ডনে। আর জামাই বলে কানাডায়। এদের ধিক্কার দিন আপনার কঠিন ভাষায়। যাতে আপনাদের নিয়ে আর কেউ বাটপারি করার সাহস না পায়।’ গ্রæপটিতে হুসাইন আমজাদ নামের আর এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, ‘ইটিএল কিভাবে বোনাস দিবে? স্বামী, স্ত্রী, দুই সন্তান যখন কোম্পানির প্রধান। তারা কোনো কাজ না করে মাসিক চার কোটি টাকা সেলারি নেয় মিনিমাম, এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করে কোম্পানির টাকা দিয়ে। একটা মূলা ঝুলিয়ে বিনিয়োগকারীদের সব টাকা নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমাচ্চে। খায়রুল জেনে শুনে কীভাবে এসব কোম্পানিকে লিস্ট করে বুঝিনে। কত টাকা খায়রুলের পকেটে গেছে, দেখার কেউ নেই।’ স্টক এসআরএসএম নামের আর একজন একটি ফেসবুক গ্রæপে পোস্ট দিয়েছেন, ‘ইটিএল ডিভিডেন্ট ঘোষণা না করে কোনোভাবেই যাতে ইজিএম (অতিরিক্ত সাধারণ সভা) অনুষ্ঠান না করতে পারে সে ব্যাপারে সবাই সতর্ক হোন। ইজিএম অনুষ্ঠানের আগে ডিভিডেন্ট ঘোষণা করাতেই হবে, আর না হলে এই বাজার সর্বনাশ হয়ে যাবে।’ এ পোস্টের নিচে ‘লাল সবুজের খেলা’ নামের একজন লিখেছেন, ‘ইজিএম অনুষ্ঠানে ওদেরকে জুতা পেটা করা হোক।’ ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রæপে ইটিএল’র লভ্যাংশ না ঘোষণার প্রতিক্রিয়াই এমন অসংখ্য মন্তব্য করছেন বিনিয়োগকারীরা। কোনো কোনো বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছেন, যা প্রকাশের অযোগ্য। মো. মোবারক হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী ইটিএল’র লভ্যাংশ না দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন। ইটিএল’র চেয়ারম্যান পারভেজকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে লভ্যাংশ না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যা ভালো আমরা সে ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়েছি। এ বিষয়ে এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) এ আলোচনা হবে। এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। বিনিয়োগকারীরা এজিএমে আপত্তি তুললে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আপনারা সরে আসবেন কি? এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, দেখা যাক। এজিএমে আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।
d200098a-284f-47c7-a76d-4e02a3cae03c
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে পর্যবেক্ষণের পর বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী। তারা বাজারে শেয়ার বিক্রির চেয়ে বেশি পরিমাণে কিনছে। বাজারের লেনদেন বিশ্লেষণ করে এমনটি জানা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশ আকর্ষণীয় হওয়ায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। চীনা কনসোর্টিয়ামের অংশগ্রহণ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের পুঁজিবাজার নতুন করে উপস্থিত হচ্ছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর হাতের নাগালে রয়েছে, যে কারণে প্রবাসীদের এই মার্কেটের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চীন কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় আগামীতে প্রবাসীদের বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে চীনা কসসোর্টিয়াম দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রবাসীদের এই বাজারের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। আর তারা বাজারে ঢুকতে চান যখন বেশিরভাগ শেয়ারের দর ক্রয়ের অনুকূলে থাকে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে এমন পরিবেশ বিরাজ করছে, যে কারণে বাজারের প্রতি সবার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারের সঙ্গে চীনের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তারা বলেন, চীনা কনসোর্টিয়ামের ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারীর কারনে পুঁজিবাজার যেমন শক্তিশালী হবে তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও এটা কল্যাণ বয়ে আনবে। এছাড়া চীনা কনসোর্টিয়াম টাকা অক্টোবরে বিনিয়োগ হবে। এর হলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ বাড়বে। এর পাশাপাশি বাড়বে প্রবাসীদের আগ্রহ। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাদের বিনিয়োগ, যা পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে। চীনের টেকনোলজি যুক্ত হলে সার্ভিলেন্স আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তারা। তাদের অভিমত এর ফলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতার জায়গাটি আরও পরিষ্কার হবে। চীনের পুঁজিবাজারে অসংখ্য বড় বিনিয়োগকারী রয়েছে। তাদের কিছু অংশ যদি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, তবে এই বাজার আরও শক্তিশালী হবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা অনেক ভেবেচিন্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। বেশিরভাগ সময়ই তারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে থাকেন। ফলে তাদের লোকসান কম হয়। তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে চীনের যুক্ত হওয়া আমাদের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার উভয়ের জন্য ভালো। আর বাজার হলে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগ আরও বাড়বে। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ তানিয়া শারমিন বলেন, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। বাজারের নেতিবাচক ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা দূর করেছে। এ ছাড়া অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। ফলে বিদেশিরা বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রতিফলন খুব শিগগিরই দেখা যাবে পুঁজিবাজারে। তবে পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশিদের বিনিয়োগ। এ কারণে লেনদেনে তাদের অংশগ্রহণ কমেছে। আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে গত মাসে গুটিকয় ছাড়া অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিদেশিদের শেয়ারধারণে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে পুঁজিবাজারের ১০ কোম্পানিতে বিদেশী বিনিয়োগের শীর্ষে রয়েছে। এ সময়ে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ হয়েছে মাইডাস ফাইন্যান্সে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে পাওয়া ৩০৫ কোম্পানির শেয়ারধারণের তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য মিলেছে। গত শনিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ১২২ কোম্পানিতে বিদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর পরিমাণ কোম্পানি ভেদে মোট শেয়ারের শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে মোটের অন্তত ১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এমন কোম্পানি ৬৯টি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত মাসে তালিকাভুক্ত ২৫ কোম্পানির মোট শেয়ারে বিদেশিদের অংশ শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ থেকে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিপরীতে ৩১ কোম্পানিতে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত মাসে ডিএসইতে বিদেশিদের কেনাবেচা করা শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ৩৫৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৭৬ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন তারা এবং বিক্রি করেছেন ১৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। সিএসইতে মোট ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেন তারা। শেয়ারধারণে শীর্ষে : বিদেশিদের শেয়ারধারণের হার বিবেচনায় গত মাস শেষে সবার ওপরে আছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং (ডিবিএইচ)। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশই বিদেশিদের হাতে রয়েছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে অলিম্পিক ৪৩.৩৩ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংক ৪০.৫২ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মা ৩৯.৮৮ শতাংশ, শেফার্ড ২৪.৮৭ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ২৪.০৭ শতাংশ, রেনেটা ২২.২৯ শতাংশ, বিএসআরএম লিমিটেড ২০.৬০ শতাংশ, স্কয়ার ফার্মা ১৯.৬২ শতাংশ ও কুইন সাউথ টেক্সটাইল ১৬.৮১ শতাংশ । বেড়েছে : গত জুলাই পর্যন্ত মাইডাস ফাইন্যান্সে বিদেশিদের কোনো শেয়ার ছিল না। তবে আগস্ট শেষে দেখা গেছে, এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারধারণ করছেন বিদেশিরা। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদেশিদের অ্যাকাউন্টে এ শেয়ার এসেছে উদ্যোক্তা-পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। অর্থাৎ তাদের সবাই এ সময়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন। পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বড় প্রভাব ছিল মাইডাস ফাইন্যান্সের শেয়ারদরে। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪৩ শতাংশ বেড়ে আগস্ট শেষে ৩২ টাকা টাকা ছাড়ায়। গত মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। মোট শেয়ারে তাদের অংশ ৪০ দশমিক ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা জুলাইয়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। গত মাসে ব্যাংকটির বাজারদরও ১৮ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৭৭ টাকা হয়েছিল। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মোট শেয়ারে বিদেশিদের অংশ বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে তাদের ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ মোটের ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারদর পৌনে ২ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৩৩৪ টাকায় উন্নীত হয়। আর এপেক্স স্পিনিংয়ের মোট শেয়ারে বিদেশিদের অংশ শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়। অবশ্য বিদেশিদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরও শেয়ারদর প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৩৩ টাকায় নামে। বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগস্টে পঞ্চম অবস্থানে থাকা আইডিএলসি ফাইন্যান্সে তাদের শেয়ারধারণের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের মাসের ও মোট শেয়ারের তুলনায় যা শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। একইভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ শতাংশ বেড়ে ৬৬ টাকা ছাড়ায়। সুত্র: দেশ প্রতিক্ষণ
3fa655f4-c5f6-4572-8e52-4ac4bbabf275
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসির নানামুখী উদ্যোগের পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থায় মধ্যে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও একটি স্থিতিশীল বাজার ফিরে পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া কোনভাবেই পুঁজিবাজারের দরপতন থামছে না। চলতি মাসের শুরু থেকেই পুঁজিবাজার দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে। সপ্তাহে একদিন ভালোতো পরের দু-তিন দিন ক্রমাগত পতন। তেমনি দৈনিক লেনদেনের চিত্র আরো ভয়াবহ। প্রতিনিয়তই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনি অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, পুঁজিবাজার রক্ষায় এখন কেউ নেই। যারা আছন, তারা নিজেদের আখের গোছানোরি কাজেই ব্যস্ত। এছাড়া নির্বাচনী মুহুর্তে নানা গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে একটি চক্র। তারা সরকারের অর্জনকে স্লান করতে চাচ্ছে। ফলে পুঁজিবাজারে ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তিত হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা। তবে পুঁজিবাজার বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা, বিদেশি যেসব কোম্পানি দেশে ভালো ব্যবসা করছে তাদের মূলধনের একটি অংশ বাজারে ছাড়া, শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো, তাদের মূলধনের জোগান বাড়াতে তহবিলের উৎস বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতেও কোন কাজে আসছে না পুঁজিবাজার। তেমনি পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্টায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জন্য ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে। গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। উক্ত বন্ডে করা বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগ পুঁজিবাজার এক্সপোজারে অন্তর্ভুক্তি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে হলে তারল্য প্রয়োজন। তারল্য সংকট দুর করতে হবে। বর্তমান বাজারে তারল্য সংকট বিরাজ করছে। পুঁজিবাজারে আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করলে কিছুটা হলে তারল্য সংকট দুর হবে। এছাড়া বর্তমান উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে। এর সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যরা চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে পাওয়া অর্থও পুঁজিবাজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে বাজার আরো স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, কিছুদিন আগেও ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সরব উপস্থিতি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্বাচনী ইস্যুতে পুরাতন বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি নতুনদেরও বাজারের প্রতি আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ফলে আজ ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা অনেকটা কম ছিল। যারাও বা এসেছিল তাদের সবার চোঁখ ছিল দরপতনের ধূ ধূ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেছেন, পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফান্ডামেন্টাল, অ্যানালাইসিস, বিনিয়োগ শিক্ষা কোনো কাজে আসছে না। সামগ্রিক পুঁজিবাজার ভালো না থাকলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বাজারকে গতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করলেও তারা বাজারের স্বার্থে কাজ করছে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নয় বরং কতিপয় মহলকে বিশেষ সুবিধা দিতে বিএসইসি কাজ করছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ২০১০-২০১১ সালে ধসে যেমন আমরা আন্দোলন করে বিএসইসি পুন:গঠন করিয়েছি। তেমনি আবারো বর্তমান বিএসইসিকে পুন:গঠনের দাবি জানাচ্ছি। এখানে দক্ষ ও বাজার বান্ধব লোকবল দরকার। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সরকারের আহবান জানিয়েছেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা রাখতে নগদ অর্থের প্রবাহ দরকার। তারল্য সংকট কাটাতে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করি বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের বেশির ভাগ অর্থই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এর প্রভাব অবশ্যই পুঁজিবাজারে পড়বে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিশ্চিত অর্থমন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকার উদ্বিগ্ন। সরকারের শেষ সময় যে কোন মুল্যে পুঁজিবাজার চাঙ্গা রাখতে চায়। এই জন্য দুই মন্ত্রীতে পুঁজিবাজারের দেখা শেনার দায়িত্ব দিয়েছেন। সম্প্রতি পুঁজিবাজারে টানা দরপতন ঘটায় তারা এ বিষয় উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। তেমনি বিএসইসি’কে চাপে রাখছেন পুঁজিবাজারকে যে কোন মুল্যে স্থিতিশীল রাখতে হবে।
e6ad61b7-2885-45bc-bdfd-132dc7532092
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসির নানামুখী উদ্যোগের পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থায় মধ্যে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও একটি স্থিতিশীল বাজার ফিরে পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও তারল্য সংকট এই মুহূর্তে শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের এক আলোচনায় উঠে এসেছে। এরমধ্যে তারল্য সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সভায় বিএসইসির কমিশনারগণ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন ও কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে প্রাপ্ত অর্থে ক্যাপিটাল গেইন টেক্স সুবিধা পাওয়ার পরেও শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় বিএসইসি হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের পতন হিসাবে তারল্য সংকট ও রাজনৈতিক ইস্যুকে তুলে ধরা হয়েছে। কারন যে যাই বলুক না কেনো, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারনে। তারা শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা দিয়ে সংকট তৈরী করেছে। অথচ তা সমাধানের জন্য কাজ করছে না। এছাড়া অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ করলেও ব্যাংকটি থেকে তা মানা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, শেয়ারের দর বাড়লেই ব্যাংকগুলোকে বিক্রয় করতে হয়। যা এক প্রকার ফোর্সড সেল। এমনিতেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। এমতাবস্থায় বিষয়টি সমাধানের দরকার। এক্ষেত্রে যা করণীয় তাই করা হবে। বিএসইসি আমাদের পাশে থাকবে। সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসাবে প্রকাশকে কেন্দ্র করে সভায় অনেকে প্রশ্ন তুলেন বলে জানান মিনহাজ মান্নান। আগামিতে যাতে এমনটি না হয়, সেলক্ষ্যে করণীয় নির্ধারনের পরামর্শ দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, ইভিন্স টেক্সটাইলের মুনাফা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পর্ষদ লভ্যাংশ না দেওয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসিসহ সবাই ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে।
a90ef695-e4b4-418e-ac3b-311a77962f65
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না । ফলে সকলের মাঝে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাছাড়া বর্তমান বাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই নিম্নমুখী হচ্ছে বাজার। সেই সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই কমছে বাজার মূলধন। বিষয়টি যেমন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভাবিয়ে তুলছে, ঠিক তেমনি বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে এর প্রকৃত কারণ অজানাই রয়ে গেছে। আর এ কারনে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে বাজারের ভারসাম্য ধরে রাখতে ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ছাড়া বাকিগুলো পুরোপুরি নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পোর্টফলিও ম্যানেজারসহ বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বর্তমানে সাইডলাইনে থেকে বাজার পর্যবেক্ষণে বেশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া, বিনিয়োগকৃত অর্থের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নতুন করে বিনিয়োগে আসছেন না বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী। এছাড়া রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অনেকে মার্জিন লোন নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। পরিণতিতে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে না। তবে পুঁজিবাজারের হঠাৎ এ দরপতকে সরলভাবে নিতে পারছেন না দক্ষ বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি, পুঁজিবাজারের এ দরপতনের পেছনে আবারও কোনো কারসাজি চক্র সক্রিয়, নাকি নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে চায় তা দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে। তা না হলে বিনিয়োগকারীরা আবারও বড় লোকসানের মুখে পড়বেন। পুঁজিবাজার হঠাৎ দরপতন হওয়ার পেছনে প্রধানত চার কারণ বিদ্যমান বলে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ ও দেশ প্রতিক্ষণ ডটকমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এবং বড় ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথায় এ চারটি কারণ উঠে এসেছে। প্রথমত, নির্বাচন সামনে রেখে পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কোনো কোনো মহল। তারা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে বা বিনিয়োগ উঠিয়ে ফেলার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে যে, সামনে শেয়ারের দাম আরও কমবে। এগুজবের সাথে ডিএসই বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজ জড়িত। এরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পুঁজিবাজার ইস্যুতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে বিএসইসি’র সজাগ থাকা উচিত। তা না হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে বিনিয়োগকারীরা। দ্বিতীয়ত, সার্বিকভাবে দেশ উন্নয়নে দিকে এগিয়ে যাচেছ। গত কয়েক বছরে সব সূচকের উন্নতির সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছ মোট জাতীয় আয়ও (জিএনআই)। তবে জিডিপির উন্নয়নের সঙ্গে সমানতালে এগোয়নি পুঁজিবাজার। অর্থনীতির আকার বাড়লেও অনেকটা পেছন পানে হাঁটছে ২৬ লাখের বেশি বিনিয়োগকারীর পুঁজিবাজার। অনেকে পুঁজিবাজার থেকে মুখও ফিরিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় ফেরার চেষ্টা করলে এই বিনিয়োগকারীরা ফিরে এসে কয়েক দিনের মধ্যে আবার হতাশ হয়ে ফিরে যায়। এই আস্থার অভাবেই পুঁজিবাজার অস্থিরতার নেপথ্যে কারন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তৃতীয়ত, সামনে নির্বাচন ইস্যুতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী দু:চিন্তায় রয়েছেন। দেশের পরিস্থিতি কি হয়। মূলত দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, এ মুহূর্তে দেশে কোনো হরতাল বা অবরোধ না থাকলে নির্বাচনী ইস্যুতে বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে চলে যাচ্ছে। চতুর্থত, জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে ইভেন্স টেক্সটাইল নো ডিভিডেন্ড ঘোষনার পর পুঁজিবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। লভ্যাংশ ঘোষণার বড় মৌসুমেও পুঁজিবাজারের লেনদেন ও সূচকে মারাত্মক অধোগতি চলছে। অব্যাহত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট চলছে। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই বাজারের নেতিবাচক আচরণে বিস্মিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তারাও। এমন পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক বাজার পতনের কারণ অনুসন্ধান ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকারের তিন সংস্থার দ্রুত সমন্বয় প্রয়োজন। বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে হলে তারল্য প্রয়োজন। তারল্য সংকট দুর করতে হবে। বর্তমান বাজারে তারল্য সংকট বিরাজ করছে। পুঁজিবাজারে আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করলে কিছুটা হলে তারল্য সংকট দুর হবে। এছাড়া বর্তমান উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে। এর সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যরা চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে পাওয়া অর্থও পুঁজিবাজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে বাজার আরো স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেছেন, পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফান্ডামেন্টাল, অ্যানালাইসিস, বিনিয়োগ শিক্ষা কোনো কাজে আসছে না। সামগ্রিক পুঁজিবাজার ভালো না থাকলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বাজারকে গতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করলেও তারা বাজারের স্বার্থে কাজ করছে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নয় বরং কতিপয় মহলকে বিশেষ সুবিধা দিতে বিএসইসি কাজ করছে বলে জানান তিনি। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক বলেন, পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা রাখতে নগদ অর্থের প্রবাহ দরকার। তারল্য সংকট কাটাতে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করি বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের বেশির ভাগ অর্থই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এর প্রভাব অবশ্যই পুঁজিবাজারে পড়বে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারের মধ্যে দৃঢ় সেতু তৈরি হবে। আইসিবি পুঁজিবাজারে আরও বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, যা পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে। আর চুড়ান্ত বিচারে তা দেশের অর্থনীতিতেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করায় পুঁজিবাজারে বারবার রক্তক্ষরণ ঘটছে। তাই এসব বিষয়ে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাতে কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি। বিএসইসি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়া বেশকিছু বোকার্স, ডিলারস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের আচরণ আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে আমরা কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকেও এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আমরা এখনও এ টাকা হাতে পাইনি। সরকার ক্যাপিটাল গেইনের ওপর পাঁচ শতাংশ কর ধার্য করেছে এবং শর্ত দিয়েছে পুঁজিবাজারে ওই টাকা তিন বছরে বিনিয়োগ করতে হবে। এতে আমরা সবাই একমত হয়েছি। কিন্তু এ টাকা পেতে একটু দেরি হচ্ছে। আমি এনবিআরের উদ্দেশ্যে বলব তারা যত তাড়াতাড়ি আমাদের টাকা দেবে, আমরা তত তাড়াতাড়ি সেই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারব। বর্তমানে পুঁজিবাজারে এ টাকা বিনিয়োগ করলে তারল্য সংকট কিছুটা কমবে এবং বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হবে। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনে কিছু প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক দরপতনের বিষয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। কোনো ধরনের যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই বাজারে দরপতন হচ্ছে। আমাদের সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কিছু পরিলক্ষিত হলে কমিশন সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারকে কার্যকর করতে কিংবা যথাযথভাবে গড়তে নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। মৌল ভিত্তির কোম্পানি বাজারে এলে বিনিয়োগকারীও আকৃষ্ট হবে। গতিশীল ও কার্যকর বাজার গড়ে তুলতে কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। যদিও একটি তালিকাভুক্তিতে অনেক সময় ও জটিলতা রয়েছে। বাজারে বহুজাতিক ও সরকারি কোম্পানি আনা খুব জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক উসমান ইমাম বলেন, ‘বাইরের কোনো কোনো দেশের পুঁজিবাজার জিডিপির চেয়েও বহুগুণ বেশি। আমাদের পশ্চাদ্গতির কারণ হচ্ছে সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসতে না পারা। বহুজাতিক কোম্পানিকে বুঝিয়ে কিংবা ব্যবসা পরিচালনায় শর্ত দিয়েই বাজারে আনতে হবে। কোনো দেশেই বহুজাতিক কোম্পানি সহজে তালিকাভুক্ত হয় না। নিয়মনীতির মাধ্যমে কিংবা প্রণোদনা দিয়ে আনতে হয়। নিজেদের স্বার্থে প্রণোদনা দিয়ে বহুজাতিক কোম্পানিকে বাজারে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ইকুয়িটিনির্ভর না হয়ে বন্ড কিংবা অন্যান্য পণ্যও আনতে হবে। জনগণকে বিনিয়োগমুখী করতে হলে বিভিন্নতা আনতে হবে।
007e682d-a608-4674-96fd-ca9c68cc8b66
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা দরপতনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। বর্তমান বাজারে আস্থা সঙ্কট প্রকট আকারে থাকায় তারল্য সংকটে হাহাকার করছে। ফলে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চিয়তায় রয়েছে। ফলে নির্বাচনী সময় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই মুহুর্তে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে না পারলে ৩০ লাখ বিনিয়োগকারীদের ভাগ্য বিড়াম্বিত হবে। তাছাড়া পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিত বলেছেন, বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য। কিন্তু এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়নি। পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হয়েছে। তবুও মার্কেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। কিন্তু সরকারের নীতি নির্ধারকরা নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। ফলে দু:চিন্তা কাটছে না সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কারন একটানা দরপতন কোন স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের লক্ষণ নয়। এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন সাইডলাইনে। তেমনি পুঁজিবাজার ইস্যুতে তুলকালাম, দায়িত্বশীলদের সমন্বয়হীনতা ইত্যাদি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। তেমনি পুঁজিবাজারের এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিও বিপাকে পড়েছে। তাই পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরানোই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কোনো কোনো মহল। তারা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে বা বিনিয়োগ উঠিয়ে ফেলার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে যে, সামনে শেয়ারের দাম আরও কমবে। কিন্তু চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় আমাদের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জে উন্নীত হতে যাচ্ছে। তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ডেরিভেটিফ, অপশন, বন্ড, করপোরেট বন্ড, আইপিওসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করবে। হিউম্যান রিসোর্সকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এর ফলে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে আমূল পরিবর্তন আসবে। বাজারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম বাকী খলিলী জানান, ব্যবস্থাপনাটাই এখন হ-য-ব-র-ল। সরকারের উচিত ছিল বাজার নিযন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসির সাথে আলোচনা করেই বিভিন্ন সিদ্ধান নেয়া। কিন্তু তা করা হচ্ছে বলে আমরা দেখতে পারছি না। এ ব্যাপারে সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকলেও এসব বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাওয়ার কোনোই অর্থ হয়না। এখানে সরকারের সমন্বয়ের অভাব আছে, যেমনটি আছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে। সরকারের কাছে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এই পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ বিশেষ করে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসনের কার্যক্রম হাস্যকর। বাজারকে স্বাভাবিক করতে সমন্বয় জরুরি। তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের ব্যাপারে একটা রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হয়। আর এটা যাতে করতে না পারে সে জন্যই বিএসইসি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তারা সে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে চরম আস্থার সঙ্কট, যার কারণেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বা মার্কেট মেকাররা বাজারে ফিরতে সাহস পাচ্ছেন না। তারা বিনিয়োগ খোয়াতে চান না। সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা তারা বাজারে বিনিয়োগ করে খোয়াতে চায় না। তাই বাজার স্থিতিশীল করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ডিএসইয়ের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আমরা এখনও এ টাকা হাতে পাইনি। সরকার ক্যাপিটাল গেইনের ওপর পাঁচ শতাংশ কর ধার্য করেছে এবং শর্ত দিয়েছে পুঁজিবাজারে ওই টাকা তিন বছরে বিনিয়োগ করতে হবে। এতে আমরা সবাই একমত হয়েছি। কিন্তু এ টাকা পেতে একটু দেরি হচ্ছে। আমি এনবি আরের উদ্দেশ্যে বলব তারা যত তাড়াতাড়ি আমাদের টাকা দেবে, আমরা তত তাড়াতাড়ি সেই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারব। বর্তমানে পুঁজিবাজারে এ টাকা বিনিয়োগ করলে তারল্য সংকট কিছুটা কমবে এবং বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলি খান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বোর্ড রয়েছে, যেখানে গভর্নর প্রতিনিধিত্ব করে এবং সবাই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্তগুলো নেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিচের লেভেলে যে বিভাগগুলো রয়েছে তাদের এনালাইসিসগুলো অনেক সময় বাস্তবভিত্তিক হয় না। আর তখনই সমস্যা হয়। আসলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য থাকে মানি মার্কেটের দিকে এবং পুঁজিবাজার তাদের কাছে একটি অংশ মাত্র। কারণ পুঁজিবাজারের জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের দিকে তেমন নজর দেয় না। সুদ্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ ও দেশ প্রতিক্ষণ ডটকম
f0a72dd7-4df8-45e2-bd10-a1c7bd682a42
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানির ট্রেড সাসপেন্ড প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানি ২টি হচ্ছে: লিগাসি ফুটওয়ার এবং বিডি অটোকার্স লিমিটেড। কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বাকি ১টি কোম্পানি মুন্নু স্টাফলার্সকে আরও ১৫ দিন ট্রেড সাসপেন্ড রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রেড সাসপেন্ড প্রত্যাহার হওয়া কোম্পানি ২টিকে স্পট মার্কেটে লেনদেন করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএসইসি বলছে, স্পটে লেনদেন হবে বলেই কোম্পানি ২টির ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। সূত্র বলছে, কোম্পানি ২টির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক শেয়ার ভলিয়ম, অস্বাভাবিক লেনদেনসহ বেশ কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হওয়ায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে আরও ৬টি কোম্পানিকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। যার তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আর এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি তখন গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন-বিএসইসির উপ পরিচালক শামসুর রহমান এবং সরকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। সুত্র: দেশ প্রতিক্ষণ
c3f44c19-0e18-4558-a6eb-781f1c923143
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের হঠাৎ বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন করে এ খাতের শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর তলানিতে ছিল। লভ্যাংশ ঘোষনায় সময় আসায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার কারন বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন। সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে বস্ত্র খাতের শেয়ারে বেশি উল্লম্ফন লক্ষ্য করা গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড মৌসুম। তারই হাওয়া লেগেছে বস্ত্র খাতেও। এ কারণে এ খাতটি লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেশ কয়েকবার। এছাড়া সময়ের সাথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় সেক্টর টেক্সটাইল খাত। তবে হঠাৎ করে ফুলেফেপে ওঠেনি এ খাতটি। গত কয়েক কার্যদিবস ধরে ধারাবাহিক ভাবে ভাল করেছে এ খাতটি। কখনও দর বৃদ্ধির শীর্ষে আবার কখনও লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। এবং এর পেছনে যথাযথ কারন রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের মোট ৫০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। আগের বছর দু’ একটি ছাড়া বেশিরভাগ কোম্পানিই বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। সে হিসেবে সামনে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আরও ভাল ডিভিডেন্ড আসতে পারে বলে ধারণা বিনিয়োগকারীদের। আর এ জন্যই হয়ত দর বাড়ছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর এমনটিই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চার ইস্যুতে বস্ত্র খাতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ইস্যু চারটি নিম্নরূপ: প্রথমত: ডিভিডেন্ড মৌসুমকে কেন্দ্র করে অন্যান্য খাতের মতো হাওয়া লেগেছে বস্ত্র খাতেও। বেশ কিছুদিন ধরেই বস্ত্র খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এ কারণে এ খাতটি লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেশ কয়েকবার। গত সপ্তাহজুড়ে ড্রাগন সুয়োটার, নুরানী ড্রাইং, সায়হাম টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল বাজারের নেতৃত্বে দিয়েছেন। সময়ের সাথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় বস্ত্র খাত। রপ্তানি বাণিজ্যে বস্ত্র খাতের ভূমিকা এবছর শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর পারফর্মেন্সও চোখে পড়ার মতো এগুচ্ছে। দ্বিতীয়ত: বস্ত্র খাতে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে। বস্ত্রখাতের মোট ৫০টি কোম্পানির মধ্যে ২৮টি কোম্পানি তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের শেয়ারহোল্ডিং পজিশন জমা দিয়েছে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ারহোল্ডিং পজিশনে দেখা গেছে; ৬টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ারহোল্ডিং পজিশন অপরিবর্তিত রয়েছে। ১২টি কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডিং পজিশন কমেছে। ৮টি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডির পজিশন বেড়েছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ারহোল্ডিং পজিশন বেশি কমেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজে। গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে এই শেয়ারহোল্ডিং পজিশন কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ারহোল্ডিং পজিশন ছিল ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।যা ফেব্রুয়ারি মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর নূরানী ডাইংয়ের ১ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিংস কমে এর পরের অবস্থানে রয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ারহোল্ডিং পজিশন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সিমটেক্স, অ্যাপেক্স স্পিনিং এবং জাহিন স্পিনিংয়ে। আলোচ্য মাসে কোম্পানি ৩টির হোল্ডিং পজিশন বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। উভয়ই ক্রমাগত বাড়ছে। ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে। যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন এখাতে। আর এসকল বিষয় আকৃষ্ট করছে দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে ড্রাগন সুয়েটার সম্পদ পুর্নমুল্যায়ন করেছে। কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছে। সবকিছু মিলে বস্ত্রখাতে এখন জয়জয়কার। আর যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর প্রবেশ ঘটে, তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সব সময়ই বিনিয়োগ করার আগে সেই প্রতিষ্ঠান নিয়ে গবেষণা করে। সে কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঞ্চার হচ্ছে। তৃতীয়ত: ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২০২০ সালের মধ্যেই চীনকে টপকে যাবে বাংলাদেশ। ড্র্যাপার্স নামক ব্রিটিশ দৈনিকে এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে ড্র্যাপার্স জানাচ্ছে, গত ৯ বছরের তুলনায় শুধু ২০১৬ সালেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। টেক্সটাইল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে দেখা গেছে, গত নয় বছরে এ হার ১২.২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩.৪ শতাংশে। তবে, গত ছয় বছরে ইইউভূক্ত দেশগুলোয় চীনের রপ্তানিকৃত পোশাকের পরিমাণ হচ্ছে ৩৭.৯৯ শতাংশ। যদিও ২০১০ সালের দিকে সেখানকার বাজারে অর্ধেকেরও বেশি পোশাক আমদানি হয়েছিলো চীন থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালে আগের অবস্থান হারিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে চীন। ২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখে ইউরোপের দেশগুলোতে সবচেয়ে সস্তায় তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ বলেন, বস্ত্র খাতে লভ্যাংশের আশায় এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে । আর তাই ডিভিডেন্ড আশায় বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির দিকে আগ্রহী হয়ে শেয়ার বেচাকেনা করছেন। আর এরই প্রভাব পড়েছে বস্ত্র খাতে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন বাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করায় বেশিরভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারী ডে ট্রেডারের ভূমিকা পালন করছিলেন। তাদের পাশাপাশি কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও চুপ ছিলেন। এতে বাজার দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বস্ত্র খাত বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার অনেক চেষ্টা করছে। তবে কয়েক কার্যদিবস নয় এ খাত যেন সবসময় দেশের পুঁজিবাজার এগিয়ে নিতে সহায়ক হয় সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে এগোতে হবে। শুধু পুঁজিবাজার নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সম্বাবনাময় খাতগিুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের প্রেসিডেন্ট মিজান-উর-রশিদ-চৌধুরি বলেন, এখন পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। অন্যদিকে অন্যান্য খাতের মতে, বস্ত্র খাতেরও বেশিরভাগ শেয়ারে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, যা এসব শেয়ারের দর বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। তবে ভাল কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ুক এটা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারন ভাল কোম্পানিগুলো বাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে সবসময়। কিন্তু খারাপ কোম্পানিগুলোর দামও যে এ সুযোগে বাড়ছে এটাকে ঠেকাতে হবে ।কারন এরা বাজারের জন্য ক্ষতিকর।
e23b221b-0a6e-4014-9416-3bc81146595c
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি অটোকারসের লভ্যাংশ ও রাইট শেয়ারে প্রস্তাবিত উচ্চ প্রিমিয়ামে বিনিয়োগকারীরা অসন্তুষ্ট। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দরে বড় পতন নেমে আসে। এছাড়া, কোম্পানিটির শেয়ারদর আকাশচুম্বী অবস্থায় পৌঁছেছিল। এর শেয়ারদর আরও সংশোধন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর বুধবার বিডি অটোকার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন ফেরার প্রথম দিনে বিডি অটোকারের প্রায় ১১ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এর আগে কারসাজির কারণে গত ১৬ আগস্ট বিডি অটোকার, লিগ্যাছি ফুটওয়ার ও মুন্নু স্ট্যাফলার্সের লেনদেনে ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত মঙ্গলবার কমিশন সভায় কোম্পানি ৩টির মধ্যে বিডি অটোকার এবং লিগ্যাছি ফুটওয়ারের লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে লেনদেনের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেয়ার দুটি স্পট মার্কেটে কেনাবেচার নির্দেশনা দেয়। এদিকে, লেনদেন স্থগিতকালে বিডি অটোকার এবং লিগ্যাছি ফুটওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ সুপারিশ করে। বিডি অটোকারের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ৩ শতাংশ নগদ এবং ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ সুবিধা সংযোজনের জন্য মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ। এক্ষেত্রে বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার বিক্রি করে সাড়ে ৪২ কোটি টাকা মূলধন বাড়াতে প্রস্তাব করে। রাইট শেয়ারের ক্ষেত্রে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১১০ টাকা প্রস্তাব করে। লভ্যাংশ ঘোষণা ও স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার কারণে লেনদেনে ফেরার প্রথমদিন শেয়ারটির দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। লেনদেনের শুরুতেই ১৫ শতাংশ দর হারিয়ে শেয়ারটি ৩৭০ টাকায় নেমেছিল। তবে লেনদেনের শেষাংশে হারানো দর কিছুটা ফিরে পায়। কোম্পানিটির দিনের সর্বশেষ লেনদেন হয় ৩৮৮ টাকা ৯০ পয়সায়। আর স্থগিতাদেশের আগে বিডি অটোকারের শেয়ারদর ছিল ৪৩৬ টাকা। গত জুন মাসের শুরুতেও শেয়ারটি ১০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছিল। মাত্র আড়াই মাসে শেয়ারটির শেয়ারদর প্রায় প্রায় সাড়ে চার গুণ ছাড়ায়।
713a105e-b1c8-40fa-8a76-c57eee8c073f
গেস্টরুমে ডেকে ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে নিয়ে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন এবং স্যার এএফ রহমান হলে এই ঘটনা ঘটে। মারধরে শিকার হাসান আল মানজুর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এবং নুরুল আফসার স্যার এফ. রহমান হলের শিক্ষার্থী। তারা উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মারধরে অভিযুক্তরা হলেন মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শাহ ইবনে সোয়াদ ও এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মোহাম্মদ রাকিব। তারা উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের অনুসারী। মারধরের শিকার হাসান আল মানজুর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম শেষে হলে ফিরলে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ ইবনে সোয়াদ তাকে ফোন করেন। কিন্তু সে ওয়াশরুমে থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারে নি। পরে শাহ ইবনে সোয়াদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার রুমে এসে তাকে গালিগালাজ করে এবং তখনই হল থেকে বের হয়ে যেতে বলে। কিন্তু বের না হয়ে হলে অবস্থান করায় রাতে সোয়াদ তাকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হল থেকে বেরিয়ে যেতে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে স্ট্যাম্প নিয়ে তেড়ে আসে এবং বেপরোয়া চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নিজামুল হক ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঘটনার তদন্তে হাউজ টিউটরদের সমন্বয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম, অন্য দুজন সদস্য হলেন ইমাউল হক সরকার ও একেএম ইফতেখারুল ইসলাম। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ নিব। এদিকে, মারধরের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ মারধরকারী শাহ ইবনে সোয়াদকে হল থেকে বের করে দেয়। অপরদিকে ফেসবুকে গণরুম নিয়ে একটি সংবাদের লিংক শেয়ার দেয়ায় মারধরের শিকার হন এএফ রহমান হলের নুরুল আফসার। আফসার জানান, এ ঘটনায় রাগান্বিত হয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব তাকে গেস্টরুমে ডাকেন। কিন্তু যেতে দেরি হওয়ায় রাকিব প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে তাকে জোর করে গেস্টরুমে নিয়ে আসতে বলেন। পরে সে গেস্টরুমে গেলে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে গালিগালাজ করে। এ সময় লাঠি দিয়ে তার বুকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন রাকিব। তিনি বলেন, সে সিনিয়রদের সালাম না দেওয়ায় তাকে বকাঝকা করা হয়েছিল, মারধর করা হয়নি। আমি তাকে কাঠ দিয়ে ধাক্কা দিয়ে পিছনে সরিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম খান জানান, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। হাউজ টিউটরদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও আমরা জানিয়েছি। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কাউকে মারার অধিকার রাখে না। এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মারধরের শিকার ঐ দুই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী জানান, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। ঘটনা যেহেতু হলে ঘটেছে তাই হল কর্তৃপক্ষের মাধ্যম তদন্ত কমিটি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে ঘটনার বিচার করা হবে।
b4d4d09c-bf74-4a12-8ce6-9b16feca7002
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি এবার লোকে লোকারণ্য হতে শুরু করেছে বিএনপির কার্যালয়ও। উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন দলটির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষনাও দিতে পারেন তিনি। এর মাধ্যমে বুঝা যায় অনেকটা-“বড়র পিরীতি বালির বাধঁ, ক্ষনে হাতে দড়ি ক্ষনেক চাঁদ”। আওয়ামী লীগ মহাজোটকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে এই বিষয়টির চেয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনের মাঠে থাকছে কিনা সেই সন্দেহটাই বড় করে দেখছে সাধারণ জনগণ। তবে দেশবাসী সংঘাতহীন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ব্যতিক্রম নই আমরাও। সুদূর প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের সহনশীল রাজনীতি দেখতে আমরাও মুখিয়ে আছি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণের পর বিএনপির রাজনীতিতে অনেকটা নেতৃত্ব সংকট দেখা দিতে শুরু করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রবাসে থাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতেগড়া দল বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া এবং আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। এতে ভোটারদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে উৎসব উন্মাদনা। ৭ দফা দাবি নিয়ে মাঠে সরব থাকা বিএনপির দুই দফায় সরকার প্রধানের সাথে সংলাপ চালিয়ে আসলেও কোন ফলাফল ছাড়াই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে প্রবীন রাজনীতিবিদ সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টকে। আন্দোলনের ঘোষনা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ট্রেনে উঠতে হয়েছে তাদের। যদিও তাদের ৭দফার একটি দফাও এখন পর্যন্ত পূরন করেনি সরকার। তবে আওয়ামী সরকার বার বার বলে আসছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালে দেশের সবকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানীর ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার তাদের অতীত নির্বাচনের বিতর্ককে ঘুচতে চাইছে বলে মনে করেন অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষনা হলে বিক্ষুব্ধ হয় ঐক্যফ্রন্ট। রাজশাহীতে বিশাল সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তফসিল পেছানোর হুশিয়ারী দেন। শেষ পর্যন্ত তফসিল পেছানোও হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট তফসিল পেছানোকে নিজেদের প্রথম দাবী আদায় বা ছোট বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করেই সামনে এগুচ্ছে। নভেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকেই দেশব্যাপী শুরু হয় গ্রেফতার অভিযান। এতে বিএনপি জোটের প্রায় ৪ হাজারের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষনায় অবশ্য বদলে গেছে দৃশ্যপট। বন্ধ হয়ে গেছে গণগ্রেফতার। ফলে বিএনপি স্বপ্ন দেখছে নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর। দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে মনোনয়ন ফরম প্রদানের মাধ্যমে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থীদের কাছে ফরম বিক্রি শুরু করেছে। প্রথম দিনে প্রায় ১৩ শতাধিক ফরম বিক্রি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে এখনো সন্দিহান বিএনপি। তবুও অন্ধকারে তীর ছুঁড়ে বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে রেখেই এগুচ্ছে বিএনপি। আশা করা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত আইনী ফাক-ফোকর বের করে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিবেন আর জাতি পাবে একটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচন। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলা হলেও বিরোধী পক্ষ তা মানতে নারাজ। বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের মধ্য থেকে সংসদ ও মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জোর দাবী জানানো হলেও তৃতীয় শক্তি সুযোগ নিতে পারে সেই শংকায় তা মানতে নারাজ হয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের উপরে ছেড়ে দিয়ে অনেকটা অমিমাংসিতভাবে শেষ হয় দুই দফা সংলাপ। রাস্তাঘাট ছেড়ে ময়দানে সমাবেশ করলে বাধা দেয়া হবেনা প্রধানমন্ত্রীর এই কথা বাস্থবতা দেখতে পেলেও গণগ্রেফতার বন্ধ না হওয়ার সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারেনি বিএনপি। শেষমেস চাওয়া-পাওয়ার অসম সমীকরণ নিয়ে খালি মাঠে গোল না দিতেই আন্দোলনের অংশ মনে করে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে থাকবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তবুও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী আর আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা রেখেই বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন প্রস্তুতিকে অনেকেই- “বড়র পিরীতি বালির বাঁধ” মনে করছে। এর কারণ একটাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্ভব হলেও বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির নেই। বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ পরিনতি দেখতে আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু নেই। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন, আওয়াজের সাথে থাকুন। সকল বিষয় নিয়ে জোরেশোরে আওয়াজ তুলতে আমরা আছি আপনাদের পাশে। পরিশেষে ভালবাসি বাংলাদেশ। সম্পাদক ও প্রকাশক আওয়াজ বিডি।
d9814efd-6c91-44c1-87f2-e52f34665e25
যবিপ্রবি শিক্ষককে ছাত্রলীগ নেতার প্রাণনাশের হুমকি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার আয়োজিত মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে একদল ছাত্রলীগকর্মী। এ পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। আর আনোয়ার হোসেন বিপুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ড. জাহিদকে ‘প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে’ গতকাল দুপুরে মানববন্ধন আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমাইয়ারা আজমীরা এরিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিল থেকে অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদের অপসারণ দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। একপর্যায়ে শিক্ষকদের মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পুলিশি নিরাপত্তায় মানববন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়। পরে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল মোবাইল ফোনে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। সম্প্রতি শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে নিম্নমানের চেয়ার ও টেবিল সরবরাহ করা হয়েছে। বিলে আমি আপত্তি করেছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী পোড়ানোর কথা বলে তাঁরা ইস্যু তৈরি করতে চাইছে।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল দাবি করেন, ‘তিনি কোনো টেন্ডার দাখিল ও চেয়ার-টেবিল সরবরাহ করেননি। অধ্যাপক ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে নৌকার নির্বাচনী সামগ্রী সরানো হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র।’ ছাত্রলীগ নেত্রী হুমাইয়ারা আজমীরা এরিন বলেন, ক্যাম্পাসে নৌকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদকে অপসারণ করতে হবে।
7c3af5fd-53ef-41a1-bb1c-e0a240390df8
যৌন হেনস্তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া যৌন হেনস্তা নিয়ে তনুশ্রী দত্ত মুখ খোলার পর একে একে হেনস্তা নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন বলিউডের অনেক অভিনেত্রী। যৌন হেনস্তা নিয়ে কথা বলেছেন কঙ্গনা রনৌত, সোনম কাপুর, স্বরা ভাস্কর, চিত্রাঙ্গদা সিংসহ অনেকেই। ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ ঝড়ে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিচালক অভিনেতাদের। শক্তিমান অভিনেতা নানা পাটেকার থেকে শুরু করে বিকাশ বহেল, গণেশ আচার্য কিংবা অলোক নাথ বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় মুখকে নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এবার মুখ খুললেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সম্প্রতি লরিয়েল-এর এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সেখানে সিনেমা নিয়ে কথার পাশাপাশি চলে আসে বলিউডে সবচেয়ে আলোচিত ‘হ্যাশ ট্যাগ মি টু’ নিয়ে আলোচনা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ‘তাল’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আগেও এটা নিয়ে কথা বলেছি। এখনো বলে যাচ্ছি।’ লরিয়েলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঐশ্বরিয়া রাই বলেন, ‘বর্তমানে নারীরা যেভাবে যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাকে আমি স্বাগত জানাই। আপনি বিশ্বের যেখানেই থাকেন না কেন, যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ সংবাদমাধ্যম এখন গুরুত্ব দিয়ে শুনতে শুরু করেছে। সবার সামনেই এখন তা প্রকাশ হচ্ছে। এটি ভালো পদক্ষেপ।’ ‘দেবদাস’, ‘জোধা আকবর’, ‘হাম দিল দে চুকে সমন’ তারকা রাই বলেন, নারীদের ওপর হেনস্তার ঘটনা নতুন নয়। বহুকাল ধরে এসব চলে আসছে। কিন্তু নারীরা যেভাবে এবার যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন, তা দেখে ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে বিশ্ব এখন ছোট হয়ে এসেছে। ছোট ছোট কথাগুলো এখন ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করেছে। ‘মোহাব্বাতেন’, ‘রেইনকোট’ ও ‘ধূম ২’ তারকা ঐশ্বরিয়া রাই সাংবাদিকদের বলেন, এটা কোনো একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। তবে যারা হেনস্তা নিয়ে কথা বলছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
b1e46cc4-cf93-4898-ae43-5b9f9ced1817
বলিউডে চলমান ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ প্রতিবাদে অভিনেত্রী ও নারী কলাকুশলীরা মুখ খুলছেন আর বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। এসব অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়ছেন বলিউডের নামজাদা অভিনেতা, নির্মাতা ও গায়কেরা। এবার অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন বলিউডের রথি-মহারথিরাও। সালমান খানের সঞ্চালনায় জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর এক সাবেক প্রতিযোগী সালমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। ওই প্রতিযোগীর নাম পূজা মিশ্র। তিনি টিভি পর্দায়ও অভিনয় করেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই মডেল ধর্ষণের অভিযোগ এনে দিল্লির সিআর পার্ক থানায় মামলা করেছেন। দুই সময়ে দুই জনপ্রিয় অভিনেতার বিরুদ্ধে করা মামলার কপি নিজের ফেসবুকে পেজেও শেয়ার করেছেন পূজা। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সালমান খান, শত্রুঘ্ন সিনহা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি যখন আমার টেলিভিশন শো “আভি তো পার্টি শুরু হুয়ি হ্যায়”-এর দৃশ্যধারণ করতে দিল্লি গিয়েছিলাম, ওই সময় তারা আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন।’ ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেই পূজা মিশ্র তার অভিযোগের কথা বলেছেন। এরপরই বলিউডে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সালমান খানের মতো মহা তারকার নামের সঙ্গে যখন যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গ জড়ায়, তখন সেটা টক অব কান্ট্রি হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রসঙ্গত, এই পর্যন্ত বলিউডের অনেক তারকার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে আছেন, নানা পাটেকর, অলোক নাথ, পরিচালক সাজিদ খান, সুভাষ ঘাই, গায়ক কৈলাশ খের, আনু মালিক, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, লেখক চেতন ভগতসহ আরো অনেকে। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও সালমান খানের নাম। এখন দেখার পালা, আরো কার কার নাম জড়ায় এই বিতর্কে। উল্লেখ্য, অনেকে অবশ্য মনে করছেন, লাইমলাইটে আসার জন্যই এ কথা বলেছেন পূজা। কারণ তিনি প্রচারের জন্য এর আগেও এমন কাজ করেছেন। এমনকি আজও পূজা কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ তুলেছেন।
b6dd6845-6fac-4267-8608-06b0967b4aab
সোমবার মানববন্ধন, ৩ মন্ত্রী প্রতিশ্রুতির বরখেলাফ করেছেন: সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত নয়টি ধারা সংশোধনের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ। মানববন্ধনে শুধু পরিষদের সদস্যরাই অংশ নেবেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন, সম্পাদক পরিষদের সদস্য দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এই কর্মসূচিটি হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর। সে সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই কর্মসূচি স্থগিত করে সম্পাদক পরিষদকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের তিন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় তিন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে এ নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে। কিন্তু গত দুটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্যামল দত্ত বলেন, তাঁরা মনে করেন এটি প্রতিশ্র“তির বরখেলাপ। সম্পাদক পরিষদ স্থগিত মানববন্ধনটি ১৫ অক্টোবর পালন করবে। সম্পাদক পরিষদ বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সম্পাদক পরিষদ কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে এই ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমরা আইনটি বাতিল চাইনি। কতগুলো বিশেষ ধারার আমূল পরিবর্তন চেয়েছি। এই পরিবর্তন সম্ভব। আমরা আশা করব ওই সব ধারাগুলো সংশোধন করে আইনটি সংশোধন করা হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান প্রমুখ।
78dcb171-80cd-46a7-a69e-b48d38af3584
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে একটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এস কে সিনহাকে নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে। বিস্তৃত এবং একান্ত (ক্লোজ ডোর) ওই আলোচনায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি, কংগ্রেস প্রতিনিধি, থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কাজ করা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর পরপরই এস কে সিনহার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়। সম্প্রতি এস কে সিনহা তার বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার কথা জানান। তবে সূত্র বলছে, এস কে সিনহা এখনো তার ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাতে পাননি। তিনি এর অপেক্ষায় রয়েছেন। বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সিনহা জানিয়েছিলেন, বৃটেনের হাউস অব কমন্সসহ বিভিন্ন দেশে তার আমন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু তিনি যেতে পারছেন না।
1991cf0d-ef6f-4d32-89e5-0f334f8001ee
বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, আহত ৩ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার টিএমএসএস পেট্রল পাম্পের কাছে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৩ নারী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়াপাড়ার খাজা মিয়ার ছেলে নুর মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাজাপুর রাধারঘাট এলাকায় টিএমএসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, নীলফামারী সদর উপজেলার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৫০), শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুনিরা বেগম (৪০) ও টাঙ্গাইল শান্তিনগর গ্রামের সামছুল হকের মেয়ে শামীমা (২৭)। থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর দুর্বৃত্তরা রংপুর থেকে ঢাকাগামী নাবিল ক্লাসিক পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৬৪৪) পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় নুর মাহমুদ নামে এক যুবদল নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
435143c0-7d32-4514-94fc-2726945b7199
এমপির সামনে হাঁটু গেড়ে করজোড়ে নতমস্তকে এ কেমন সম্মান! যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরকে স্কুলছাত্রীদের বরণ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোরের চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফুল হাতে নিয়ে ছাত্রীরা এমপি মনিরুলসহ অন্যান্য অতিথিদের বরণ করে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এমপি মনির ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রুমের মধ্যে বসে আছেন। একদল ছাত্রী ফুলের মালা হাতে অতিথিদের সামনে দাঁড়াল। তারপর তারা ‘ ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা....গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফুল হাতে করজোড়ে প্রণামের মত করে মাথা নত করে উঠছে আর বসছে। পাশ থেকে একজন শিক্ষক ছাত্রীদের শিখিয়ে দিচ্ছে। অতিথিদের সামনে দাঁড় করিয়ে ছাত্রীদের এভাবে উঠবস করাকে ভালোভাবে নেয়নি এলাকাবাসী। ৪ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে নাজমুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন। এরপর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ভিডিওটি ২ লাখ ৬ হাজার বার দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে ৪ হাজার ১৮০টি। ফেসবুকে নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিও এটি। এদিকে সন্ধ্যায় এমপি মনিরুল ইসলাম মনিরের মেইল থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার যশোরের চৌগাছা উপজেলা হাকিমপুর ইউনিয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এমপি মনিরুল ইসলাম মনির। উদ্বোধন করা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪তলা ভীত বিশিষ্ট ১ তলা ভবন, ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দেবীপুর-বকশীবাজার ১১শ মিটার পাকাসড়ক নির্মাণ, ইউনিয়নের পাতিবিলাসহ বিভিন্ন বাজারে স্থাপিত সোলার স্ট্রিট লাইট উদ্বোধন উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান কবীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ও আইডিইবি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিদ্যুৎ বিভাগ ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিয়া, সাবেক শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রাজ, যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজনিন সুলতানা, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, হাকিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক শাহাজান কবীর, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ হোসেন, রয়েল খান, রুমান খান, এসএম রকি, আকাশ খান প্রমুখ । https://youtu.be/6m7dy4Yc9JU
afbefdee-dfc8-4c32-b0b1-d562d880b497
নারায়ণগঞ্জে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রীর ফ্ল্যাট থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ২ গাড়িসহ আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম। ছবি : সংগৃহীত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রীর ফ্ল্যাটে বসে এক বন্ধুকে নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মদ পান করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এসময় পুলিশ ওই বাসা থেকে ১৫টি বিদেশী মদের খালি বোতল ও একটি প্রিমিও প্রাইভেটকার ( ঢাকা মেট্রো-গ ৩৪-১৪৫৪) জব্দ করে। শুক্রবার ভোর রাতে ফতুল্লার আবাসিক এলাকা আফাজনগরের কুদ্দুস মিয়ার পাঁচতলা বাড়ির পঞ্চমতলার ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রীকে সকালে থানায় হাজির হওয়ার শর্তে বাসায় রেখে আসেন। আটককৃতরা হলেন, শহরের দেওভোগ এলাকার জহিরুল হক সেলিম রেজার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম (৩৫) ও তার বন্ধু রনি। স্থানীয়রা জানান, ফাহিম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আফাজ নগর আবাসিক এলাকায় কুদ্দুস মিয়ার ৫ম তলার ফ্ল্যাটে মধ্য রাতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুইজনকে মদ পান করা অবস্থায় আটক করা হয়েছে। জানা যায় ওই ফ্ল্যাটে বিথি নামে এক নারী বসবাস করেন। তার দুইটি মেয়ে আছে, স্বামী জিয়াউল হাবিব আমেরিকায় বসবাস করেন। এছাড়া বিথির ফ্ল্যাট থেকে আরো ১৪টি বিদেশী মদের বোতল খালি অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার আরেক পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে বিথির ফ্ল্যাটে প্রতিদিন প্রাইভেটকারে একাধীক ব্যবসায়ীরা এসে সকাল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত মদের আড্ডা জমাতো। একই সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপও চালাতো। এতে মাতাল হয়ে অনেকেই ফ্ল্যাটের বাহিরে বের হয়ে মাতলামী করতো। এনিয়ে ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন অতিষ্ট হয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। এরপর এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, ওই ফ্ল্যাটে দুই ব্যাক্তিকে মদ পানের সময় আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফাহিম নামে একজন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ওই ফ্ল্যাটে একটি প্রিমিও প্রাইভেটকার নিয়ে এসেছেন। উদ্ধার করা মদের খালি বোতলের সঙ্গে সেই প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
15b35565-c749-43a5-a391-2dd4fe82e2ba
ঠাকুরগাঁওয়ের কোচল-চাপসা সীমান্তে লাখো মানুষের মিলন মেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কোচল ও হরিপুর চাপসা সীমান্তে ৭ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয়ের সম্মতিতে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই প্রতি বছর পাথর কালীর মেলায় এই সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়া হয়। কাঁটাতারের বেড়া তাদের আলাদা করে রাখলেও আবেগ পৌছে যায় একে অপরের হৃদয়ে। গোবিন্দগঞ্জ থেকে আসা রাজন সাহার সাথে মেলা স্থলে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর পর আমার ছোট শালির সাথে দেখা করলাম। দেখা পেয়ে চোখে যেন আনন্দের বাধ মানছিল না। শালি থাকে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ থানায়। অনেক দিন দেখা না হলেও আজ সম্পর্কের টান ঠিকই তাদের হাজির করেছে কাঁটাতারের পারে। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর এবং ভারতে কোচবিহার, আসাম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাই সাইকেল, অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, মিনিবাস যোগে মেলা স্থলে হাজির হয়। এর পর চলে প্রতিক্ষার প্রহর। শুক্রবার বিজিবি ও বিএসএফের সম্মতিতে সকাল দুপুর থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে এ মিলন মেলা। সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এসে জড়ো হন সীমান্তে, দির্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হবার এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না কেউ। প্রতি বছর দু’দেশের স্বজনদের এ মিলন মেলা এখানে এক বিরল দৃশ্যের জন্ম দেয়। লাখো মানুষ কথা বলেছে এই দিনে তাদের প্রিয় স্বজনদের সাথে। দু’ দেশের সীমারেখা কাঁটাতার দিয়ে আলাদা করা হলেও আলাদা করা যায়নি তাদের রক্তের, আত্মীয় সম্পর্কের ভালবাসার টান। দীর্ঘদিন দুরে থাকা, দেখা হওয়ায় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আবার কেউ প্রিয়জনের দেখা না পেয়ে বাড়ি যেতে হয় চোখে পানি নিয়ে। দু’দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা সাধারণ মানুষ টাকা পয়সার অভাবে পাসপোর্ট ভিসা করতে পারেন না তারা এই দিনটির অপেক্ষয় থাকেন। সারা বছর দু’দেশের মানুষ অপেক্ষা করে এই দিনটির জন্য। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগে থেকেই স্বজনরা পরস্পরকে জানিয়ে দেয় কে কোথায় দেখা করবে। ভারতীয়রা কাঁটাতারের পাশে এলে সেখানে বাংলাদেশের ও লাখো নারী পুরুষ সমবেত হয়। ছোট বৌমা মায়াবতি ভারতীয় সীমান্তে ও শ্বাশুড়ী মুক্তিরাণী বাংলাদেশ সীমান্তে সঙ্গে নাতী নাতনি সবাই সবার সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা বলছে। মুক্তিরাণী বলেন ৮ বছর পর ছেলে, বৌমা নাতি নাতনির দেখা পেলাম একে অপরকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছা থাকলেও পারছিনা। বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। ভারতের মাকড় হাটে থাকা ছোট বোন রোজিনাকে দেখতে আসা দিনাজপুরের আবুল বাসার বলছিলেন, বোনকে একটু ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে হচ্ছিল কিন্তু ছুতে পারছিলামনা। জড়িয়ে একটু চিৎকার করে কান্না করি তবে হয়তো দির্ঘদিনের জমে থাকা কষ্টগুলো থেকে একটু হাল্কা হতাম। পাথর কালীর মেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নগেন পাল জানান, কৃষকের ধান মাঠে থাকার কারনে এক সপ্তাহ পিছিয়ে এ মেলা করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে পর উপজেলার সীমান্ত এলাকা পাক ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধিনে ছিল। এ কারনে দেশ বিভাগের পর আত্মীয় স্বজনেরা দু’দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সারা বছর কেউ কারো সাথে দেখা সাক্ষাত করতে পারেননা। অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটির জন্য। থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল মান্নান বলেন, আইন শৃংখলার রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনী সেখানে দায়িত্ব পালন করছে।
7c1b9eff-0f3d-4033-a8b6-0b29f2266171
জ্যামাইকায় ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের বিশাল নির্বাচনী সমাবেশ ‘অন্য প্যানেলের হয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন’ বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের নির্বাচনী সমাবেশে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, সোসাইটির নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বরং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিপক্ষ প্যানেলের হয়ে কাজ করেছেন। সভায় এই প্যানেলের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া দুই সদস্যের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়ারও দাবী জানানো হয়। অন্যথায় অচিরেই সাংবাদিক সমে¥লনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের মখোশ উন্মোচন করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ পানসী রেষ্টুরেন্টে গত ৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত বিশাল এই নির্বাচনী সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের জ্যামাইকা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আহসান হাবিব। সভায় অতিথি ছিলেন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের, উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াসী চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাষ্টিবোর্ড সদস্য আলী ইমাম শিকদার ও কাজী আজহারুল হক মিলন, সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. আবদুল লতিফ, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, সিনিয়ার সহ সভাপতি খবির উদ্দিন ভূইয়া, মূলধারার রাজনীতিক তৈয়বুর রহমান হারুন, ডা. মাসুদুর রহমান, সেফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা ও নিউইয়র্ক সিটি ভোটার এসিসটেন্স কমিশনার মাজেদা এ উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন সেলিম, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার খন্দকার তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের জ্যামাইকা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও ইফজাল চৌধুরী। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গোলাম আজম রকি, পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন ডা. টমাস দুলু রায় এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন মনিকা রায়। এছাড়াও বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা বেলাল। সভায় ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুর রহীম হাওলাদার, সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মোহাম্মদ রেজাউল করীম (সগীর), সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী, সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ এমকে জামান, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মাকসুদ আহমেদ চৌধুরী, ওজনপার্ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল মালেক, ওজনপার্ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি আবদুল মুহিত, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নির্মল পাল, শামসুল আলম লিটন, গৌস খান, করিম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর সরকার, ইসমাইল হোসেন স্বপন, নাসিম আহমেদ, প্রফেসার শাহাদাত হোসেন, জয় চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, কাজী কামাল, এডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু, আলমগীর ভূইয়া, ফারুক হোসেন তালুকদার, মির্জা ফরিদ উদ্দিন, শেখ আনসার আলী, সিরাজুল ইসলাম মোরশেদ, বদিউল আলম, আবু মজিদ আখন্দ, আফরোজা রোজী, ফারহানা আলম, আবু নাসির প্রমুখ। সভায় ওয়াসী চৌধুরী তার বক্তব্যে ২১ অক্টোবরের নির্বাচনে সকল ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান এবং এজন্য কারো করো সমস্যা হলে তা নির্বাচন পরিচানার সাথে জড়িতদের জানানোর অনুরোধ করেন। ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটিই শেষ নয়। এটি আমাদের প্লাটফর্ম মাত্র। কমিউনিটির জন্য এই প্লাটফর্ম কাজে লাগাতে হবে। আর সোসাইটির ২৭ হাজার ভোটার যদি ঐক্যবদ্ধ হন তাহলে আমরা শুধু সোসাইটি-কে শক্তিশালী নয়, মূলধারার কাউন্সিলম্যান, কংগ্রেসম্যানও নির্বাচিত করতে পারি। কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন তার বক্তব্যে নিজের কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবনের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি সোসাইটি আর কমিউনিটির সেবার করতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি প্রবাসের ৫ লাখ বাঙালীর সেবা করতে চাই। এজন্য সবার দোয়া, সহযোগিতা আর ভোট কামনা করছি। তিনি বলেন, সোসাইটির দায়িত্ব পেলে সবাইকে নিয়ে এই সংগঠনকে মূলধারার সাথে সেতুবন্ধনে আবদ্ধ করবো। তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছি এবং সোসাইটির বর্তমান ভবন ক্রয়ে আমার সহযোগিতা রয়েছে। মোহাম্মদ আলী তার বক্তব্যে প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি কমিউটির গুরুত্বপর্ণ সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে নিউইয়র্কের সকল বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সবাই আপনাদের প্রার্থী। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমরা শক্তিশালী সোসাইটি উপহার তিকে পারবো। আব্দুর রহীম হাওলাদার বলেন, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল নির্বাচিত হলে মূলধারার সাথে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করাই হবে প্রধান কাজ। তিনি টেক্সাসে আটক বাংলাদেশীদের মুক্ত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা কমিউনিটির জন্য আরো কিছু করতে চাই। প্রবাসীদের সেবায় অবতান রাখতে চাই। রানা ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে শুধু ভোটার বানালেই হবে না। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা আর ভোট দেয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী নয়ন কমিউনিটিকে দিতে এসেছেন, তাকে সেই নুযোগ দেয়া উচিৎ। যোগ্য প্যানেল হিসেবে তিনি ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
f934a79b-6cf7-45d8-a3c0-ca7df95e497f
নিউইয়র্কে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হল দ্বিতীয় 'হুমায়ূন মেলা' ছবি: নিহার সিদ্দিকী শো-টাইম মিউজিক আয়োজিত দু'দিনব্যাপী হুমায়ূন মেলা শেষ হল সোমবার । প্রয়াত জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে গতবছর থেকে শুরু হয় এ মেলা। তবে রোববার এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হুমায়ূন পত্নী মেহের আফরোজ শাওনের দাবি অনুযায়ি উদ্যোক্তা সংগঠন এর কর্ণধার আলমগীর খান আলম ঘোষণা দিয়েছেন, আর মেলা নয়, আগামী বছর থেকে শুরু হবে ‘সম্মেলন’। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত মেলার শেষদিনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেহের আফরোজ শাওন জানান, আমেরিকায় জন্ম নেয়া নতুন প্রজন্মকে মেলায় আসতে দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। আগামীতে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি আরো বেশি সংখ্যক তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি আশা করেন। মেলার টাইটেল স্পন্সর এন ওয়াই ইন্স্যুরেন্স এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও শাহ নেওয়াজ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন প্রজন্ম সন্তানদের সাথে আপনারা বাসায় বাংলায় কথা বলবেন। ওরাতো স্কুলে এবং বাসার বাইরে ইংরেজীতে কথা বলেই। বাংলা তাদের জানা উচিত। আলমগীর খান আলম বলেন, আগামী বছর সম্মেলন আয়োজনে শতভাগ না পরি ৯০ ভাগ সফল হবো বলে আশা রাখি। উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমি শিক্ষকতা করতাম, সেসময় আমি ছিলাম শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। হুমায়ূন আহমেদও ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। একদিন তিনি আমাকে অনুরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা করতে। আমি যখন দু’মাস পর তাঁর থাকার ব্যবস্থা করি তখন তিনি আমেরিকায় চলে আসেন। তিনি যে এতবড় মাপের একজন ব্যক্তিতে পরিনত হবেন সেদিন কিন্তু কিছুই বুঝতে পারিনি। শেষ দিনে আলোচনা ছাড়াও মেলায় কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত দর্শক – শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে দেয়। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ এর পরিচালনায় নাটকে ব্যবহৃত গান শোনান শিল্পীরা। বিশেষ করে সায়রা রেজা, শাহ মাহবুব ও রানু নেওয়াজের পরিবেশনায় গানগুলো উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার মন কেড়ে নেয়। গভীর রাত অবধি চলে অনুষ্ঠান। প্রথম দিন শামীম আহমদ ও দ্বিতীয় দিন পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সেলিম ইব্রাহিম।
43b802d7-550c-428e-a247-3b2412ba39c9
গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে নিউইয়র্কে আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার নিউইয়র্ক সময় ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণার পরপরই এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে আনন্দ মিছিল নিয়ে হাজির হয়। শুরুতে নির্দিষ্ট দূরত্বে উভয় দলই স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে এগিয়ে গেলে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরপর জ্যাকসন হাইটসে খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে আনন্দ মিছিল বের করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ-উল্লাস করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. প্রদীপ কর, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, শরীফ আলম হীরা, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, ডিএম রনেল, মো. সেবুল মিয়া, জয়নাল আবদীন জয় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে রায় ঘোষণার পরপরই ডাইভারসিটি প্লাজায় জড়ো হয়ে বিক্ষাভ মিছিল ও স্লোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে প্রহসনের রায় উল্লেখ করে নেতারা বলেন, এই রায় ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। তারা অবিলম্বে তারেক জিয়াকে গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ারও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বক্তারা। বিএনপির বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, মাকসুদ চৌধুরী, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন সবুজ, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক, মার্শাল মুরাদ, আহাদ প্রমুখ।
00d38da0-2d7a-4649-b5d0-f6851b32ed87
সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র ও বাই-ল’জকে শতভাগ অনুসরণ করেই নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র গঠনতন্ত্র ও বাই-ল’জকে শতভাগ অনুসরণ করেই নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সর্বদা সচেষ্ট ও বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেছেন সোসাইটির নির্বাচন কমিশন। ইসি কর্মকর্তারা একটি প্যানেল কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নাকোচ এবং অভিযোকে ভীত্তিহীন দাবী করে আরো বলেছেন, ভোটার সহ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতেই ইসি’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইসি’র কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। খবর ইউএনএ’র। সিটির এলমহাস্টেস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এরপর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অপর নির্বাচন কশিমনার মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া। পরবর্তীতে সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একটি প্যানেল কর্তৃক ইসি’র বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল ইউ আহমেদ। এসময় নির্বাচন কমিশনের অপর তিন সদস্য যথাক্রমে কাওসারুজ্জামান (কয়েস), মোহাম্মদ আর সরকার ও খোকন মোশাররফ। সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একটি পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বিগত কিছুদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে বাংলাদেশ সোসাইটির সম্মানিত সদস্য ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন এবং সেই সাথে দুইজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল ও অপর একজন প্রার্থীর প্রার্থীতা গ্রহণ সম্পর্কে সংবিধান ও বাই ল’জ-এর মনগড়া অপব্যাখ্যা করছেন। এমনকি তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সততা নিয়ে কটাক্ষ করতেও দ্বিধাবোধ করেন নাই। আমরা তাদের এই দুঃখজনক ও অনভিপ্রত কর্মকান্ড ও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অনাকাক্সিক্ষত, অপ্রত্যাশিত ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়: বাংলাদেশ সোসাইটির সম্মানিত ভোটারদের দৃঢ়তার সাথে আস্বস্ত ও নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং এই পবিত্র ও গুরু দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সুচারু ও নিরপেক্ষভাবে পালনে বদ্ধ পরিকর। আমাদের কর্মকান্ড পরিচালনার চালিকাশক্তি সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনী বাই ল’জ, কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা তাদের চোখ রাঙ্গানী নয়। আমরা এ যাবৎ পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনী বাই-ল’জকে একশত ভাগ অনুসরন করে গ্রহন করেছি এবং ভবিষ্যতেও তাই করা হবে। আমরা একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সর্বদা সচেষ্ট ও বদ্ধপরিকর। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোন রকমের অপপ্রচার বিশ্বাস না করার জন্য বিনিত অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী সকল প্রার্থী ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলার এবং সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল ইউ আহমেদ তার বক্তব্যের সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা সহ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের দুই সদস্যের প্রার্থীতা বাতিলের কারণ ব্যাখা সহ অন্যান্য অনিয়ম বিষয়ে সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনী বাই ল’জ তুলে ধরে তাদের ব্যাখা প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা চাইনি নির্বাচন নিয়ে কোন প্রার্থীর কোন গোপন তথ্য প্রকাশ করতে। কিন্তু আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সম্মানিত ভোটার সহ কমিউনিটিকে আসল তশ্য জানাতে বাধ্য হচ্চি। তিনি বলেন, একটি প্যানেলের দুটি সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতল হওয়ার বিষয়ে তারা যে ব্যাখা দিচ্ছেন বা দাবী করছেন তা সঠিক নয় এবং সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও বাই ল’জ অ্যালাও করে না। প্রকৃত পক্ষে ঐ দুই সদস্যের একটিতে প্রস্কাবকারী ও সমর্থনকারীর স্বাক্ষর নেই এবং অপরদিকে সমর্থনকারীর স্বাক্ষর নেই। তিনি পাল্টার প্রশ্ন করে বলেন, একটি প্যানেরে ১৯টি পদের ১৭টি মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর স্বাক্ষর সঠিক থাকলেও ঐ দুই পদে ব্যতিক্রম হলো কেনো? জামাল ইউ আহমেদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন শতভাগ সততার সাথে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। আর সোসাইটির নির্বাচনের দাবী-দাওয়া কারো ‘মামার বাড়ী’র আব্দার হতে পারে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুুিত সম্পন্ন এবং ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের সাথে ইসি’র মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেকই ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেনম, অতীতে কে কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন, সেটা বড় কথা নয় বা তাদের পথ ধরেই যে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে তা নয়। আমরা নিরপেক্ষ কিনা, গঠনতন্ত্র আর বাই ল’জ মেনে নির্বাচন পরিচালনা করছি না সেটাই বড় কথা।
b4b44974-9b76-4809-abf4-cf9238120980
নিউজার্সির 'প্যাটারসন বোর্ড অব এডুকেশন' কমিশনার প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিন বিশ্বজিৎ দে বাবলু, নিউজার্সি আগামী ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিনে অনুষ্ঠিত হবে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটির বোর্ড অব এডুকেশনের নির্বাচন।প্রার্থীরা লড়বেন ৫টি কমিশনার পদের জন্য ।ওই নির্বাচনের একটি পদ এক বছরের জন্য অনির্দিষ্টকালীন মেয়াদের কমিশনার পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি মোসলেহ উদ্দিন । তিনি ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। মোসলেহ উদ্দিন সিটির শিক্ষার মান বৃদ্ধি, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন । যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত অনন্য মেধাবী মোসলেহ উদ্দিনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউজার্সির প্যাটারসন সিটিতে।মোসলেহ উদ্দিন নিউজার্সি তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ এবং প্যাটারসনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাজ উদ্দীনের প্রথম সন্তান। আগামী ৬ নভেম্বর ২০১৮, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটারসনে বোর্ড অব এডুকেশন নির্বাচনে কমিশনার পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত হলে প্যাটারসনে অভিবাসী বাংলাদেশিদের শিক্ষার অধিকার ও আদর্শ নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলবেন।
ef91ed0c-711e-44af-af91-5ffc6f1acb79
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উচ্চ আদালত থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হতেই এই ছাত্রদল নেতাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন এ খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান , হাইকোর্ট থেকে বাসায় ফেরার জন্য বের হন নয়ন। এসময় নয়নকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শতাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। বিগত দুদফা আন্দোলনে বেশ কয়েকবার গ্রেফাতার হয়ে কারাবরণ করেন তিনি।।
a63c654d-8dec-4ea8-8821-bccd99e10b42
শরিকদের জন্য ৯৪ আসন ছেড়েছে বিএনপি জোটের শরিকদের জন্য ৯৪টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শরিকদের আসন বাকি রেখে বিএনপির ২০৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গণতান্ত্রিক অন্দোলন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে আছি। মির্জা ফখরুল বলেন, ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর নাম আগামীকাল শনিবার ঘোষণা করা হবে।
0222a0de-5465-43f6-99d5-6c7803cb764e
বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছেঃ গিয়াস উদ্দিন অনেক ষড়যন্ত্র, নীল-নকশা করে আমাকে নির্বাচন থেকে হটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার সামনে সকল ষড়যন্ত্রই বৃথা। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি নির্বাচন ময়দানে ফিরে এসেছি। পেরিয়ে আসতে পেরেছি ষড়যন্ত্রের একটি ধাপ।’ শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রের থেকে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন একথা বলেন। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ঋণ খেলাপীর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মো. রাব্বি মিয়া মনোনয়ন বাতিল করেছেন। এই সফলতার ক্ষেত্রে আমার শুভাকাঙ্খী ও তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদেরও অবদান রয়েছে। তাদের ভালোবাসা, দোয়ায় আমি নিজের মনোবল হারাই নি। চেষ্টা করেছি বাধা-বিপত্তির দেয়ালকে ভেদ করবার। আর তাতে সফলও হয়েছি। ইনশাল্লাহ, আমি এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের জীবণে সুখের ফুল ফোটাতে কঠোর পরিশ্রমে লিপ্ত হবো। তিনি আরো বলেন, মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর থেকেই আমার সাথে অনেক শুভাকাঙ্খী মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে চলেছেন। পেয়েছি শুভেচ্ছা বার্তা। তাদের কথায় মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণায় বুকে সাহস ফিরে পেয়েছে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা জানান, নির্বাচনে গিয়াসউদ্দিনের ফিরে আসায় আমরা আনন্দিত। আমরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়াসউদ্দিনের প্রত্যেক ধাপে আমরা সাহায্য করবো। থাকবো তার পাশে।
1269edf9-23cf-4e86-b9b4-71c508802c29
রাজশাহীতে ট্রাফিক সার্জেন্টকে লাঞ্ছিত করলেন এক নারী! রাজশাহী নগরীর সড়কে নিয়মিত চেকিং-এর সময় ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে অসৌজন্য মূলক আচণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে নগরীর আমচত্ত্বরে ট্রফিক সার্জেন্ট প্রাইভেট কারের চালককে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বললে চালকের সাথে থাকা একজন নারী সার্জেন্টসহ বাংলাদেশের পুলিশকে অশ্লিল ভাষায় বলেন, কিছুদিন আগে এতো কিছু হয়ে গেল তাও লজ্জা নাই না। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা পুরো বিষয়টি ভিডিও করেন। গালি দেয়া সেই নারী গাড়ি চালকের মেয়ে বলে জানা গেছে। চালকের নাম দেবেন্দ্রনাথ বর্মন। তর্কের এক পর্যায়ে চালক নিজেকে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেলদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) নগরীর আমচত্ত্বরে নিয়মিত ট্রাফিক চেক পোস্ট বসিয়ে থাকেন। নগরীর প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটিতে শনিবার সকাল থেকে সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট তোহা ও তার সঙ্গীয় ট্রাফিক কন্সটেবলগণ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য মতে, দুপুর আনুমানিক ১২টার পর একটি নীল রংয়ের টাটা ন্যানো (ঢাকা মেট্রো ক ১২-০২৫৬) গাড়িকে ট্রাফিক পুলিশ থামতে বলে। গাড়ি চালানো অবস্থায় সিট বেল্ট পরে থাকার নিয়ম থাকলেও চালক সেই সময় সিটবেল্ট পরে ছিলেন না। গাড়িটি থামলে চালকের কাছে গাড়ির কাগজসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চান ট্রাফিক পুলিশ। চালক প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। পাশে থাকা সার্জেন্ট তোহা বিষয়টি লক্ষ্য করে গাড়িটির কাছে যান। সার্জেন্ট তোহা তখন চালকে আবার কাগজ দেখাতে বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি গাড়ির ব্লুবুকটি বের করে দেন। এসময় গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা ও চালক সিটবেল্ট পরে না থাকার দায়ে সার্জেন্ট রিপোর্ট লিখতে গেলে চালক সার্জেন্টের হাতে থাকা গাড়ির ব্লুবুকটি কেড়ে নেন এবং চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘নিটোল মোটরস এর নামে মামলা দেন। আমার নামে কোন মামলা দিবে না।’ ঘটনার পর সার্জেন্ট তোহার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চালকের সিট বেল্ট পরা ছিল না এবং তিনি কর্তব্যরত পুলিশকে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়া গাড়িটি তার নামে রেজিট্রেশন নেই। এবিষয়ে তাকে মামলা দিতে গেলে তার সাথে থাকা একজন নারী আমাকে সহ পুলিশকে গালি দেন। পরে চালক গাড়ির আইডি কার্ড বের করে দেন। এসময় তার নামে মামলা দিতে গেলে তিনি সেই ব্লুবুকটি আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। সার্জেন্ট আরও জানান, পুরো বিষয়টি পাশে থাকা পুলিশসহ স্থানীয় জনগণের সামনেই ঘটেছে। শাহ মখদুম থানা পুলিশকে এবিষয়ে অবগত করা হলে তারা আসেন এবং থানা পুলিশের সামনেও চালাকসহ তার সাথে থাকা দুইজন নারী আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করেন।
79c11e38-f185-4f0d-a863-2c88e0c28dad
নতুন হাইপারলুপ ট্রেনের মডেলের উদ্ভাবন নতুন একটি হাইপারলুপ ট্রেনের মডেল উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান হাইপারলুপ ট্রান্সপোরটেশন টেকনোলজিস। তাদের উদ্ভাবিত এই ট্রেন দিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। এটা ঘন্টায় ১ হাজার কিলোমিটার বেগে চলবে। নতুন মডেলের এই হাইপারলুপ ট্রেনের দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুট। লস এঞ্জেলস থেকে লাস ভেগাসে যেতে এই ট্রেনের সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। সে হিসেবে ৪২৪ কিলোমিটার পথ এই ট্রেন অতিক্রম করবে মাত্র ২০ মিনিটে। হাইপারলুপ ক্যাপসুল ভবিষ্যত ভ্রমণ ব্যবস্থাকে পাল্টে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অত্যধিক দ্রুতগতির হাইপারলুপ যোগাযোগ প্রযুক্তির উদ্ভাবক যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী এলোন মাস্ক। এটা উড়োজাহাজের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। হাইপারলুপ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হাইপারলুপ ট্রান্সপোরটেশন টেকনোলজিস অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, নতুন হাইপারলুপ মডেলের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে যাবে তারা। হাইপারলুপকে বলা হয় ‘পাখাবিহীন উড়োজাহাজ’। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘ যাত্রার ধরনই বদলে যাবে। ইতোমধ্যে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন এবং ফ্রান্সে হাইপারলুপ বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
f49af7f5-5b50-4fc3-8c97-70486e1139b3
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বহিস্কার ইসলামাবাদে বাংলাদেশ সরকারের নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার তারেক আহসানকে বরখাস্ত করেছেন ইমরান খান। আট মাস আগে বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সাকলাইন সায়েদাকে। কিন্তু আট মাসেও তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ঢাকা থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ পদ থেকে রফিকুজ্জামান সিদ্দিকীয় অবসরে যাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে পদটি পুরোপুরি শূন্য রয়েছে। মূলত তার এ অবসরের ফলে সাকলাইন সায়েদাকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়। এতদিন তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিভাগের পিবিএস-২০ এর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। কেন তাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কোন কারণও দেখাতে পারেনি ঢাকা। এরই জের ধরে পাকিস্তানে নিযুক্ত হাই কমিশনারকে বরখাস্ত করল ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের মিডিয়া খবরে বলেছে, বাংলাদেশের কাছে নতুন হাই কমিশনার হিসেবে সাকলাইন সায়েদার মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি বছরের শুরুর দিকেই পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বারংবার ঢাকার কাছে ‘নোট ভারবালস’ পাঠানো সত্ত্বেও ঢাকা এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয় নি। এমনকি এ বিষয়টি বিলম্বের কোনো যথোপযুক্ত কারণও জানায়নি ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক হাই কমিশনার রফিউজামান সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বিষয়ে সম্মতি জানাতে বড়জোর এক মাস সময় লাগে।’ সাবেক এ হাই কমিশনার আরও বলছেন, ‘এক্ষেত্রে ঢাকা যে বিলম্ব করছে তার অর্থ হলো বাংলাদেশ সরকার সাকলাইন সায়েদাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এর প্রধান কারণ অবশ্যই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনো ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না।’ সে সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পুরোপুরি পাকিস্তানবিরোধী আখ্যা দিয়ে বলেন শেখ হাসিনা চলেন নয়া দিল্লির কথা মতো। এ বিষয়ে রফিউজামান সিদ্দিকী আরও উল্লেখ করেন, ‘এই নিয়োগ নিয়ে অধিক সময় লাগতে পারে। তবে দুটি দেশের মধ্যে এই রকম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য এই বিলম্ব কোনো সময়ই ভাল কিছু বয়ে আনবে না।’ অবশেষে পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বরখাস্ত হলেন তারেক আহসান। এদিকে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক ও বাণিজ্য যোগাযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু নাগরিক। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার কূটনৈতিক দিক নিয়েও আলোচনা চলছে। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পরে দক্ষিণ এশিয়াতে একচেটিয়া ভারতের প্রভাবের অবসান হতে যাচ্ছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে পাকিস্তান বিরোধীতার রাজনীতি বেশ সরব। কিন্তু সার্কভুক্ত এই দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হলে তা রাজনৈতিক তো বটেই বাণিজ্যেও প্রভাব রাখবে। এখন দেখার পালা বাংলাদেশ কি পদক্ষেপ নেয়।
ade0dd6f-3b25-41d5-9c56-02e310c9d556
খাশোগি নিখোঁজ: ট্রাম্প-এরদোগানের চাপে বেকায়দায় সৌদি যুবরাজ তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেট থেকে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজের ঘটনা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। নিখোঁজের পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও রহস্যের কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায়নি। কেউ বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ বলছে, জীবিত আছেন তিনি। তাকে অপহরণ করে রিয়াদে নেয়া হয়েছে। খাশোগির প্রকৃত অবস্থা জানাতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে সৌদি কর্তৃপক্ষের ওপর। তুরস্কের সঙ্গে সঙ্গে এবার সোচ্চার হয়েছে মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রও। দুই দিকের চাপে এখন বেকায়দায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খাশোগির গুমের পেছনে তাকেই মাস্টারমাইন্ড মনে করা হচ্ছে। তুরস্ক বলছে, সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক খাশোগিকে সম্ভবত কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে ২ অক্টোবর তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি দল তাকে হত্যা করে বলে সন্দেহ তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। রিয়াদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রবেশের অল্প সময় পরই কনস্যুলেট ভবন ছেড়ে গেছেন বছরখানেক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা খাশোগি। কনস্যুলেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তুর্কি পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ক্যামেরায় সৌদি এ সাংবাদিককে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান কনস্যুলেট থেকে খাশোগির বের হয়ে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিখোঁজ সাংবাদিক খাশোগিকে ঘিরে চলা রহস্যের শেষ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কনস্যুলেটের ভেতর থেকে সাংবাদিক গায়েবকে ‘খুবই গুরুতর ঘটনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক নিখোঁজকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি রাজপরিবারকে দায়ী ভাবছেন কিনা, বুধবার টেলিফোনে ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবকিছু জানতে চেয়েছি। কি ঘটছে তা দেখতে চাই আমরা। যুক্তরাষ্ট্র ও হোয়াইট হাউসের জন্য এটা খুবই গুরুতর পরিস্থিতি, আমরা এর শেষ দেখতে চাই।’ ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে কেনটাকি সিনেটর র্যান্ড পল বুধবার বলেছেন, খাশোগি জীবিত ফিরে না আসা পর্যন্ত সৌদিকে দেয়া সব সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে- চলতি সপ্তাহেই সিনেটে এই মর্মে একটি প্রস্তাব তুলবেন তিনি।
3f887c17-0af6-456d-8e4c-09fd3d2d8599
তার এ মামলাটিকে ঘিরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। যা তুরস্কের অর্থনীতিকেও বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ২০১৬ সালে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর গুলেন আন্দোলনসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ব্র“নসনকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল তুরস্ক। শুক্রবার তুরস্কের আদালত ব্র“নসনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর এক মাসের জেল দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্র“নসন আটক থেকে যে সাজা খেটেছেন তার ভিত্তিতে আদালত তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। কৌঁসুলিরা তাকে ১০ বছরের জেল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ব্র“নসন কোনো ধরনের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ধরনের অপরাধের সাজা হতে পারে ৩৫ বছর পর্যন্ত জেল। মুক্তি পাওয়ার পর ব্র“নসন বলেন, আমার পরিবার আজকের দিনটির জন্যই প্রার্থনা করছিল। নিজের দেশে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত। তার মুক্তির রায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন এবং খুব শিগগিরই নিরাপদে তার দেশে ফেরার আশা প্রকাশ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর সম্প্রতি দুদেশের সম্পর্ক ঊষ্ণ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। ব্র“নসনের মুক্তিতে তা আরো এক ধাপ এগুলো।
582bfda2-1342-48aa-8966-3301c6c6a3ca
সাংবাদিক খাসোগির ঘড়িতেই রেকর্ড হয়েছিল হত্যার মুহূর্ত! নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার মুহূর্ত তার অ্যাপল ব্র্যান্ডের ঘড়িতে রেকর্ড করা হয়েছিল বলে শনিবার জানিয়েছে তুরস্কের একটি পত্রিকা। ২ অক্টোবর খাসোগি সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগে তার অ্যাপল ওয়াচটির রেকর্ড অপশন চালু করেন। তুরস্কের ডেইলি সাবাহ জানায়, খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ, নির্যাতন ও হত্যার মুহূর্তের অডিও রেকর্ডিং তার ঘড়ির মাধ্যমে তার ফোন ও আই-ক্লাউডে পাঠানো হয়েছে। খাসোগি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগে তার ফোনটি তার বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিসের কাছে রেখে যান। তিনি ফিরে না এলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করার নির্দেশনাও হাতিসকে দিয়ে যান খাসোগি। হাতিস ওইদিন মধ্যরাত পর্যন্ত কনস্যুলেটের বাইরে খাসোগির জন্য অপেক্ষা করার পর তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন। সাবাহ জানায়, কথিত হত্যাকারীদের সঙ্গে খাসোগির কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে। হাতিসের কাছে রেখে যাওয়া ফোনে এই ফাইল পান তদন্ত কর্মকর্তারা। অ্যাপলের ঘড়িটি খেয়াল করার পর হত্যাকারীরা খাসোগির হাত থেকে সেটি আনলক করার জন্য একাধিক পাসওয়ার্ড প্রয়োগ করেন। শেষ পর্যন্ত তারা খাসোগির ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে সেটি খুলতে সক্ষম হয়। সাবাহ জানায়, হত্যাকারীরা মাত্র কয়েকটি ফাইল ডিলিট করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অ্যাপলের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে অ্যাপল ওয়াচ খোলার কোনো ব্যবস্থা নেই। অ্যাপলের একজন কর্মকর্তাও মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, অ্যাপল ওয়াচ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে খোলা সক্ষম নয়। অ্যাপল ওয়াচ থেকে ফোনে অডিও পাঠানো সম্ভব নাকি তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সৌদি ও তুর্কি কর্মকর্তারা সাবাহ'র এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য দেয়নি। সৌদি আরব খাসোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেছে তিনি ওইদিন বিকেলে কনস্যুলেট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু খাসোগি কনস্যুলেটে প্রবেশের করছেন এই ভিডিওতে দেখা গেলেও, তিনি কনস্যুলেট থেকে বাইরে আসার ভিডিও বা অন্য কোনো প্রমাণ নেই। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলাজিজ বলেন, সৌদি সরকার খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে এই খবর মিথ্যা এবং রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কয়েকটি মিডিয়া মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। শুক্রবার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সিএনকে জানায়, খাসোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের ভিতর হত্যার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং তাদের হাতে রয়েছে। খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ রাজপরিবারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতেন। এক পর্যায়ে তার কলাম নিষিদ্ধ করে তাকে সতর্ক দেয়া হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান এবং সেখানকার পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের একজন কলামিস্ট। বৃহস্পতিবার খাসোগির পরিচিত একজন মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে জানান, সৌদি সরকার বেশ কিছু দিন ধরেই খাসোগিকে প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
d4063bda-12c1-4168-aa5e-4302717b9e09
Edit Date:7/17/2012 12:00:00 AM রাবি ও কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেলের দাফনসম্পন্ন হয়েছে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নিজগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে সোহেল হত্যার ঘটনায় গতকাল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল, মানববন্ধন, মুখে কালো কাপড় ও কালোব্যাজ ধারণ, সংবাদ সম্মেলন, নিন্দা ও বিবৃতিসহ এসব কর্মসূচি থেকে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিসহ সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ সময় বর্তমান ভিসির আমলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৪ ছাত্রের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তার অপসারণ দাবি করেন তারা। এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোহেলের দাফনসম্পন্ন : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নিজ গ্রামে সাবদী মাদরাসা মাঠে গতকাল সোহেলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার বাবা মৌলভী আবদুস সালাম জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। আশা ছিল সোহেল মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাড়ি ফিরবে, কিন্তু আজ আমার ছেলে লাশ হয়ে ফিরল। তিনি সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আমিই যেন এই দেশের শেষ বাবা হই যার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে ঢাকা থেকে সোহেলের লাশ রাত সাড়ে ১১টায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। তখন আশপাশের গ্রামের নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোরের ঢল নামে তাদের প্রিয় সোহেলকে এক নজর দেখতে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১ : এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি গ্রুপের সমর্থক তৌহিদ আল তুহিনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় একটি হত্যামামলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নোমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার অন্যতম আসামি ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন চলার সময় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান আমার দেশ-কে বলেন, সোহেল হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের তুহিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান। শিক্ষকদের মৌন মিছিল : সোহেল হত্যার বিচার, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ ভিসির অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসে মৌনমিছিল করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। বেলা ১১টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. শামসুল আলম সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান ভিসি প্রতিনিয়ত ৭৩’র আইনের পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সিন্ডিকেটে বেশ কয়েকজন ভিন্নমতালম্বী সদস্য থাকার পরও সোহেল হত্যা তদন্তের জন্য সিন্ডিকেটে দলীয় লোকদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এর আগেও এরকম অনেক তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু কোনো প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। এ কমিটি থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না উল্লেখ করে প্রফেসর শামসুল বলেন, এ তদন্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে সব মতের শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি চাই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জন ছাত্র নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। কিন্তু কোনোটির বিচার হয়নি। ভিসির মদতেই সোহেলকে হত্যা করা হয়েছে, কারণ তিনিই পদ্মা সেতুর চাঁদা তোলার দায়িত্ব ছাত্রলীগকে দিয়েছেন এবং কার্যক্রমের উদ্বোধনও করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রফেসর শামসুল বর্তমান ভিসির পদত্যাগ দাবি করে বলেন, আমরা এ ভিসিকে আর চাই না। অবিলম্বে তার অপসারণ চাই। সমাবেশে শিক্ষকরা নিহত সোহেলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই দাবিতে আজ শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করবেন। দাবি পূরণ না হলে পরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান শিক্ষকরা। এসময় ইবির সাবেক ভিসি প্রফেসর মু. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক মু. আজাহার আলী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ৩০১ শিক্ষকের বিবৃতি : একইদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০১ জন শিক্ষক এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, বর্তমান প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির অর্বাচীন ও দলবাজির নির্মম পরিণতি এ হত্যাকাণ্ড। পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য উঠানো চাঁদার ভাগিভাগি নিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব ভিসির ওপর বর্তায়। কারণ, তিনি নিজ উদ্যোগে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে বিতর্কিত চাঁদা তোলা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নিহত ছাত্রের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় অবিলম্বে এই দলবাজ ভিসির অপসারণ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন : প্রফেসর মু. আজহার আলী, এম রফিকুল ইসলাম, এম আমিনুল ইসলাম, ড. মামনুনুল কেরামত, ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী, সিএম মোস্তফা, ড. বেলাল হোসেন, এম আবুল হাশেম, এম নজরুল ইসলাম, এবিএম শাহজাহান, ড. শামসুল আলম সরকার, ড. আমজাদ হোসেন, ড. এম ফজলুল হক, এফ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন : সোহেলের সহপাঠী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা গতকাল মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে ৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন, অভিজিত রায়, ৪র্থ বর্ষের ইতি, ৩য় বর্ষের শীলা, বিপ্লব, আরিফ প্রমুখ। বক্তব্যের সময় অনেকেই সহপাঠীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ : একই ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল আলম শিপলুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি শিপন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন নিরাপত্তার নামে ক্যাম্পাসকে ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে। এখানে একের পর এক ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটছে। যেখানে সোহেল নিহত হয়েছে, সেখানে পুলিশের দুটি ক্যাম্প থাকার পরও পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তিনি অবিলম্বে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, লোক দেখানো তদন্ত কমিটি বাতিল ও অবহেলার কারণে প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন। ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর টাকা ভাগের বিষয় অস্বীকার : এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে আদায় করা চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল নিহতের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারের পর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি আহম্মেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই রোববার রাতের ঘটনায় সোহেল নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই পদ্মা সেতুর চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারার কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী পদ্মা সেতুর টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়েই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন। এদের মধ্যে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বারী অন্যতম। তবে তিনি গতকাল তার দেয়া আগের বক্তব্য অস্বীকার করেন। ছাত্রলীগের দুজনকে বহিষ্কার : এ ঘটনায় রাবি শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের দুই নেতাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। তদন্ত কমিটির কাজ শুরু : এদিকে সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. গোলাম কবির। তিনি আমার দেশকে বলেন, আজ (গতকাল) কমিটির সব সদস্যের কাছে চিঠি পৌঁছানোর পর আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি একপক্ষীয় এবং আগের কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসন গঠন করে দিয়েছে; এতে আমাদের করার কিছু নেই। এর আগে প্রতিবেদন জমা ও শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরই মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একপক্ষীয় ও দলীয় উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সোহেলকে হত্যা করা হয়। এদিকে সোহেল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান সোহেলকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মতিহার থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। আশরাফুজ্জামান সোহেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
1bcb0877-b8ae-41a0-8afb-01d86b7e3f35
Edit Date:12/29/2013 12:00:00 AM বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা। গতকাল (রোববার) বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে সহমত প্রকাশ করে মৌন মিছিল বের করলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় প্রজন্ম লীগের সন্ত্রাসীরা হকস্টিক, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশের নীরবতায় এলোপাতাড়ি লাটিপেটা করে শিক্ষকদের রক্তাক্ত করে সন্ত্রাসীরা। লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন মহিলা শিক্ষক। এছাড়া অন্তত ১০ জন শিক্ষক গুরুতর আহত হন। আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায় আহত শিক্ষকরা হলেন, প্রফেসর ড. আব্দুর রশিদ, প্রফেসর ড. সাবরিনা শাহনাজ, প্রফেসর ড. তাহমিনা আখতার টপি, প্রফেসর ড. লায়লা নুর ইসলাম, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান, প্রফেসর ড. ই¯্রাফিল রতন, প্রফেসর ড. গোলাম রাব্বানী, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান প্রমুখ। শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মৌন মিছিল শুরু করার আগে শাহবাগ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্যদের হামলা থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব পুলিশের নয়। এদিকে, হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সভার আহ্বান করেছেন বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা। এছাড়া আগামী ১ জানুয়ারি প্রতিবাদ সভা করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল রাতে সমিতির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা যায়। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বয়কট করার হুমকি প্রদান করেন শিক্ষকরা। জানা যায়, গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিরোধী দলের ডাকা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে নয়াপল্টন যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর ড. তাজমেরী এসএ ইসলামের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক শিক্ষক। পুলিশ মার্চ ফর ডেমোক্রেসির সমর্থনে শিক্ষকদের অভিযাত্রাটিকে প্রেসক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারার কাছে আটকে দেয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নজরুলের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র দল শিক্ষকদের দিকে তেড়ে আসে। পুলিশ উদ্ধত আচরণ করতে নিষেধ করলে প্রজন্ম লীগের দলটি শিক্ষকদের লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তারা গুলি করে শিক্ষকদের রাজপথে শুইয়ে রাখার হুমকি দেয়। কিন্তু পুলিশ এসময় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। পুলিশ ও প্রজন্ম লীগের বাধার মুখে শিক্ষকরা রাস্তায় বসে পড়ে একটি সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. তাজমেরী এস ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান প্রমুখ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষক প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত, প্রফেসর ড. একেএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রাশেদুল হাসান, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়–য়া, প্রফেসর ড. মো. আলমোজাদ্দেদী আলফেসানী, মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের দাবি জানান। সমাবেশ চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই প্রজন্ম লীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা গালিগালাজ করতে করতে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়। রড, লাঠি আর হকস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালাতে থাকে শিক্ষকদের। কদম ফোয়ারার সামনে থেকে হামলা চালাতে চালাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পর্যন্ত তেড়ে আসে তারা। এসময় পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসীদের বর্বোরচিত হামলা থেকে শিক্ষকরা রেহাই পাননি। শিক্ষকদের রক্তাক্ত করে তারা। উপস্থিত মহিলা শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করতে দ্বিধা করেনি সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। এসময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশ্রাব্য গালাগাল করে। এদিকে শিক্ষকদের ওপর বর্বোরচিত হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে তাৎক্ষণিকভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশের সহযোগিতায় এই হামলার নিন্দা জানান শিক্ষকরা। তারা এর প্রতিবাদে আজ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন। এছাড়া হামলার বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকা-ে সহযোগিতা করা বন্ধের হুমকি দেন তারা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হামলার নিন্দা : এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২৫০ জন শিক্ষক। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানান। শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও সন্ত্রাসীদের প্রতিহতকরণে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/12/30/151599.php#sthash.wWyimYC5.dpuf
3da097d9-9929-4d0b-9e42-bfb8b82990ac
| ঢাকায় দিনভর নারকীয় আওয়ামী সন্ত্রাস, সুপ্রিমকোর্ট, প্রেস ক্লাব ও ঢাবি শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলা, আহত অর্ধশত, সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগী ছিল পুলিশও Edit Date:12/29/2013 12:00:00 AM ঢাকা শহরে গতকাল নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। নাশকতার আশঙ্কার নামে বিরোধী দলের সাড়াজাগানো ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে না দিলেও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গতকাল শহরময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গতকাল সাংবাদিকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের ওপর এবং দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলায় চালিয়েছে। এতে তিনটি মহান পেশায় জড়িত অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। এদিকে বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে ঘিরে গতকাল ঢাকাকে নিষিদ্ধ নগরীতে পরিণত করে সরকার। দুদিন ধরে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর গতকাল ঢাকার বাইরে থেকে কাউকে ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। গাড়ি তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও কাউকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়নি নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশির নামে নারীসহ নাগরিকদের হয়রানি করে নিরাপত্তা বাহিনী। ঢাকায় ছিল না কোনো গণপরিবহন। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি শেষে নয়াপল্টনে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলে আগের দিন থেকেই সেখানে কারফিউ জারি করে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়। কার্যত নয়াপল্টনকে একটি দুর্গে পরিণত করা হয়। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা মার্চ ফর ডেমোক্রেসির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও কথিত নাশকতার আশঙ্কা করলেও গতকাল বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে কোনো নাশকতার ঘটনাই ঘটেনি। বরং অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা হাতে পল্টন, মতিঝিল, সেগুনবাগিচাসহ ঢাকা শহর দাপিয়ে বেড়িয়েছে আওয়ামী লীগ তার সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। পুলিশও ছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগীর ভূমিকায়। পুলিশের গুলিতে গতকাল মালিবাগে সম্ভাবনাময় এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া কমলাপুরে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে এক রেলওয়েকর্মী। এছাড়া পুলিশ গতকাল ঢাকা শহরে নির্বিচারে গ্রেফতার চালিয়েছে। রাজধানী ঢাকার তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাব আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে পুলিশ প্রোটেকশনে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ‘জয় বাংলা’ বলে মিছিল থেকে প্রেস ক্লাব লক্ষ করে ইট নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় সাংবাদিকরা বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করছিলেন। পুলিশ হামলাকারীদের বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করে। হামলাকারীরা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা থেকে ইটপাটকেল নিয়ে ক্লাবের ভেতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে হামলা চালায়। তারা প্রেস ক্লাবে সমাবেশের মাইক ভাঙচুর করে। সময় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা জয় বাংলা বলে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর প্রাণনাশের হুমকি ও তাকে রাজাকার করে গালি দিতে থাকে। তারা বলে, ‘এই রুহুল আমিন গাজী বেরিয়ে আয়, এই রাজাকার বেরিয়ে আয়, আজ তোর দিন শেষ। তোকে খতম করে দেব।’ হামলায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের অন্তত অর্ধশত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আমার দেশ-এর কাদের গনি চৌধুরী, মাহাবুবুর রহমান, মাহমুদা ডলি, জাস্ট নিউজের এমএ সাইদ, শাহ মোয়াজ্জেম, শীর্ষ নিউজের আজিজুর রহমান, ইসলামিক টেলিভিশনের মফিজুল হক বাবু, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম প্রমুখ। হামলাকারীরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ও ক্যামেরাম্যানদেরও আক্রমণ করে। তারা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নাম ধরে তাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং রাজাকার বলে গালাগাল করে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকতে দেখা গেছে। প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আইজিপির কাছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ফোন করেন। তিনি হামলার খবর শোনার পরও হামলার প্রতিকারে কোনো উদ্যোগ নেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রেস ক্লাবে হামলার পর বেলা ৩টায় সুপ্রিমকোর্টে নজিরবিহীন তাণ্ডব ও হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। তারা পুলিশের সামনেই তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আদালতের ভেতর আইনজীবীদের ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় রেহানা নামে এক আইনজীবীসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। সোয়া ৩টায় আওয়ামী লীগের একটি লাঠি মিছিল সেখানে এসে সমবেত আইনজীবীদের ধাওয়া করে। এর আগে পুলিশ তাদের ভেতরে প্রবেশের জন্য গেট খুলে দিয়ে দূরে সরে যায়। সরিয়ে নেয় জলকামান ও রায়ট কার। আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা দফায় দফায় আইনজীবীদের ধাওয়া করে মারধর করে। তারা একটি মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। তারা কোর্ট লক্ষ করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে সুপ্রিমকোর্ট ভবনের বেশ কিছু কাচ ভেঙে গেছে। হামলাকারীরা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নানা উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। বিশেষ করে অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেনের নাম ধরে তাকে গালাগাল করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় পুলিশ ছিল সম্পূূর্ণ নিষ্ক্রিয়। বরং তারা হামলাকারীদের উত্সাহ দেয়। হামলাকারীরা কোর্ট চত্বরে একটি প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। তারা মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সহযোগিতায় হামলা করেছে সরকার সমর্থিত সংগঠন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। এতে ঢাবির অন্তত ১০ শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষকরা হলেন— সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. সাবরিনা শারমিন, অধ্যাপক ইস্রাফিল রতন, অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. তাহমিনা আক্তার টপি, অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। বিরোধী দলের ডাকা মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাদের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। রোববার দুপুর দেড়টায় কার্জন হলের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম. ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষক সমাবেশের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যান। এ সময় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সভাপতি মাসুদুর রহমান দুর্জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ রাকার নেতৃত্বে তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। তারা শিক্ষকদের বেধড়ক পিটিয়ে জখম ও আহত করে। পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ এর প্রতিবাদ করেনি বা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করেনি। এ ঘটনায় শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
d5bbcb2a-a69a-4fa0-b61a-a7f23510542c
| ঢাবি শিক্ষকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা, আহত ১০, রক্ষা পাননি নারী শিক্ষকরাও, আজ প্রতিবাদ সমাবেশ, বর্জন করা হতে পারে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন Edit Date:12/29/2013 12:00:00 AM এবার পুলিশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ ১০ শিক্ষক আহত হন। লাঞ্ছিত করা হয় নারী শিক্ষকদেরও। গতকাল বেলা ২টায় হাইকোর্ট মোড়ে কদম ফোয়ারার কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের এ হামলার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছেন তারা। এছাড়া রাতে এ ঘটনা নিয়ে জরুরি সাধারণ সভা করেছেন শিক্ষক সমিতি। এ সময় আগামীকাল অনুষ্ঠেয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জনের দাবি জানান তারা। এরপর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে যোগ দিতে দুপুর দেড়টার দিকে কার্জন হল এলাকায় একত্র হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সময় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম এসে শিক্ষকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, আমরা কোনো ধরনের মিছিল কিংবা সমাবেশ করার আগেই শাহবাগ থানার ওসি এসে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সমাবেশে ছাত্রলীগ যুবলীগ হামলা করলে তার দায়ভার পুলিশ নেবে না।’ এ সময় শিক্ষকরা তাকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আশ্বাস দেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে সচেতন শিক্ষকদের ব্যানারে তারা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মৌন মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি শিক্ষা ভবন হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় প্রেস ক্লাবের সামনে আগে থেকে অবস্থান নেয়া মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা স্ট্যাম্প, ইট নিয়ে শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গেলে পুলিশ তাদের ইশারা দিয়ে থামিয়ে দেয়। তবে থেমে গেলেও সন্ত্রাসীরা স্ট্যাম্প উঁচিয়ে শিক্ষকদের লক্ষ্য করে গালাগাল করে। এতক্ষণ পুলিশের অন্য কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ শিক্ষকদের হাইকোর্ট মোড়ে কদম ফোয়ারার কাছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম বক্তব্য শেষে করে অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য শুরু করলে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কর্মীরা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের লাঠিয়াল বাহিনী শিক্ষকদের ওপর পেছন দিক থেকে হামলা করে। এ সময় আসাদুজ্জামান, ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আবদুর রশীদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. গোলাম রব্বানী, জিন প্রকৌশল বিভাগের ড. শাহনুর হোসাইন এবং মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদের দুই হাঁটু, ঘাড় ও দুই হাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আহত হন প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়েদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান, মো. ইসরাফিল রতনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। লাঞ্ছিত করা হয় চারুকলা অনুষদের নারী শিক্ষক ড. সাবরিনা শাহনাজ, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. লায়লা নূরসহ আরও অনেককে। এ সময় পুলিশ সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীদের বাধা না দিয়ে পাল্টা সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মৌন মিছিলে পুলিশ বাধা দিলেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে আহত করলেও তাদের বাধা দেয়নি পুলিশ। জনগণ মিছিল করতে গেলে পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি করে, ছাত্রলীগ যুবলীগ মানুষ খুন করলেও তাদের ধাওয়া কিংবা বাধা দেয় না পুলিশ। আমাদের লজ্জা হয় যে এই দেশের নাগরিক আমরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত শিক্ষকদের একটি অংশ পুরনো হাইকোর্টের ভেতরে আবার কেউ কার্জন হলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় পুলিশের পাহারায় ছাত্রলীগ হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত লাঠি মিছিল করে। তিনটার দিকে শিক্ষকরা কার্জন হলে একত্র হন। এ সময় সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম তাত্ক্ষণিক সংবাদ ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেশের চলমান নৈরাজ্যকর, অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতির মুক্তি চেয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে যোগ দিতে নয়াপল্টনের দিকে রওনা হই। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিলে অন্যায়ভাবে বাধা দেয়। এরপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। আমরা এ ফ্যাসিবাদী, বাকশালি আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ হামলার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন তিনি। এদিকে এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা। সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৮ দলীয় জোট আহূত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষকদের জমায়েতে সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে। অনিয়ন্ত্রিত সংঘাত-সহিংসতায় জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা নিশ্চুপ বসে থাকতে পারি না। তাই বিবেকের তাড়নায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আমরা আজ রাজপথে নেমে এসেছি। রাজপথে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা ও সহায়তায় সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের ওপর হামলায় আমরা বাকরুদ্ধ। জাতি লজ্জিত। এ সময় সন্ত্রাসীরা চারুকলা অনুষদের মিসেস সাবরিনাসহ কয়েকজন মহিলা শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করে। ঘটনার সময় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত থাকলেও সন্ত্রাসীদের প্রতিহতে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানাচ্ছি। শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক, ড. মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক লুত্ফুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমদ, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, মোহাম্মদ সফিউল্যাহ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার প্রমুখ।
00a96565-e96c-4dc8-a7af-445ac1b4968d
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দফায় দফায় নারকীয় হামলা চালিয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, লাঠিসোটা, রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে এ বর্বর হামলা চালানো হয়। এ সময় সাংবাদিকদের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এতে অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে সাংবাদিকদের পূর্বঘোষিত এ মহাসমাবেশ কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক পুলিশের সামনেই নজিরবিহীন ঘৃণ্য এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে প্রেস ক্লাবের মতো অরাজনৈতিক একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় ক্যাডারদের ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় আজকের (সোমবারের) ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। যেভাবে হামলা হয় সাংবাদিকদের ওপর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে’ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। পূর্বঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচি সফল করতে সাংবাদিকরা সকাল থেকেই প্রেস ক্লাব চত্বরে উপস্থিত হতে থাকেন। তবে ভোর থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেন ও অনেককেই বাধা দেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সাংবাদিকদের সমাবেশ। সমাবেশ শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে পুলিশ প্রটেকশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বিরোধী একটি লাঠি মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পতাকা, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, লাঠিসোটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল। এক পর্যায়ে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই বহিরাগত ওই সরকারদলীয় ক্যাডাররা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা থেকে সমাবেশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বেশকিছু আওয়ামী ক্যাডার প্রেস ক্লাবের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাইক ভাংচুর করে। হামলাকারীরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ও ক্যামেরাম্যানদেরও আক্রমণ করে। দীর্ঘ সময় ধরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার সময় পুলিশের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের মেইন গেট খুলে দিয়ে ভেতরে গিয়ে হামলায় সহযোগিতা করে। ভেতরে আওয়ামী ক্যাডাররা মাইক, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় তারা লাঠিসোটা নিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে জাস্ট নিউজের চিফ রিপোর্টার এম এ সাঈদ, শীর্ষ নিউজের আজিজুর রহমান, দৈনিক আমার দেশ-এর স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুর রহমান, মাহমুদা ডলি, ইসলামিক টেলিভিশনের মফিজুল হক বাবু, সাংবাদিক রবিউল ইসলামসহ অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক আহত হন। প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায় আহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী শাহ মোজাম্মেল নান্টু। সাংবাদিকদের এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন ও আমিরুল ইসলাম কাগজী, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ। সাংবাদিকদের সমাবেশে হামলার সময় পাশেই উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী হান্নানসহ আরও অনেকে। হামলাকারীরা সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর নাম ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, ‘এই রুহুল আমিন গাজী বেরিয়ে আয়, আজ তোর দিন শেষ। তোকে খতম করে দিবো।’ ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পূর্ণ নির্বিকার দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে বার বার অনুরোধ জানিয়েও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা ওই হামলার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সাংবাদিক নেতারা পুনরায় সমাবেশ শুরু করার চেষ্টা করে। এ সময় দ্বিতীয় দফায় সরকারদলীয় ক্যাডাররা হামলা চালায়। এ হামলার সময় বিএফইউজের একাংশের সাবেক নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ সাংবাদিক ও বহিরাগতকে নিয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অন্যপক্ষের সাংবাদিকরা ‘মিডিয়ার দালালেরা হুশিয়ার-সাবধান, সাগর-রুনির রক্ত বৃথা যেতে দেব না, ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার-সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেখানে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে ইকবাল সোবহান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। কেউ রাজনৈতিক কাজে প্রেস ক্লাব ব্যবহার করতে চাইলে এ ধরনের হামলা হতে পারে। সরকারদলীয় ক্যাডারদের দ্বিতীয় দফা হামলার পর তাত্ক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করছিলাম। কিন্তু সরকারদলীয় ক্যাডাররা অতর্কিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশ এমনকি বিশ্বের ইতিহাসে এ হামলাকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের ওপর আঘাত। দেশে যে গণতন্ত্র নেই, প্রেস ক্লাবে হামলাই তার প্রমাণ। ইকবাল সোবহান চৌধুরীর দেয়া বক্তব্য সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, তিনি সাগর-রুনির রক্তের সাথে বেইমানি করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হয়েছেন। তিনি এখন সাংবাদিক নন, সরকারের কর্মকর্তা। প্রেস ক্লাবে তিনিই বহিরাগত এবং এ হামলায় তিনিই উসকানি দিয়েছেন। এদিকে সাংবাদিকদের সমাবেশে হামলার আগে সকাল থেকেই পুলিশের রমনা জোনের এসি শিবলী নোমানের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেন। এ সময় সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আরিফা জেসমিন ও সাহারা চৌধুরীসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে হেনস্তা করে পুলিশ সদস্যরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেস ক্লাবে প্রবেশের সময় কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা দুর্ব্যবহার করলে তার প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিকরা। এ সময় পুলিশের রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিকরা জাতীয় চোর। এখানে যারা আসে তারা সবাই চোর। এ সময় সাংবাদিক তার ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তাকে প্রেস ক্লাব থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের পূর্বঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাতে বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সমাবেশে হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে অন্যথায় আজকের (সোমবারের) ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ারও হুশিয়ারি দেন তিনি। এ হামলা জাতির জন্য লজ্জাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর এরকম পৈশাচিক হামলা হয়েছে। এতে আমাদের ৪০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বিশ্বের কাছে আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারী পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী নোমানের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রুহুল আমিন গাজী বলেন, নোমান সাংবাদিকদের বড় চোর বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সোমবার (আজ) সকাল ১১টার মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শিবলী নোমানকে প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। ‘সাংবাদিকরা রাজনৈতিক সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য প্রেস ক্লাবে জড়ো হয়েছিলেন’—ইকবাল সোবহান চৌধুরীর এমন বক্তব্যের জবাবে তার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি ঘোষণার প্রায় মাসখানেক আগেই সাংবাদিকরা বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের এ সমাবেশের সঙ্গে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ কোনো সম্পর্ক নেই বলেও তিনি জানান। উল্টো ইকবাল সোবহানের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, তিনি নিজেই বহিরাগত। তিনি এখন আর সাংবাদিক নন, সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে প্রেস ক্লাবের মধ্যে মিছিল করেছেন এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলায় উসকানি দিয়েছেন। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে রুহুল আমিন গাজী বলেন, চার দফায় হামলা হলেও পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বিকার ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের কোনো সহযোগিতা করেন নি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিছিল করলে বাধা দেয়া হয় না। আর আমাদের বের হতে দেয়া হয় না। এটা কোন গণতন্ত্র? একটি গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে চলতে পারে না। তিনি বলেন, এখনও সসয় আছে, গণমাধ্যম খুলে দিন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজে মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারা গণমাধ্যম বিরোধী। তারা একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করেছে। সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে সমাবেশ করছিলাম। সেখানে ইতিহাসের ন্যক্কারজনক এ হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের এ কর্মসূচি যদি অপরাধ হয় তাহলে সে অপরাধ আমরা হাজার বার করবো। এ সময় ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, তিনি নিজেই বহিরাগত একজন সরকারি কর্মকর্তা। ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক এ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মায়া, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী হান্নানসহ আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ এদিকে প্রেস ক্লাবের মতো জাতীয় একটি প্রতিষ্ঠানে সরকার দলীয়দের ওই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেকেই এখানে স্বাধীনভাবে যার যার মত প্রকাশ করেন। সেই ঐতিহ্য বহু বছর ধরে চলছে। তারা বলেন, প্রেস ক্লাবে এ ধরনের ন্যক্কারজনক বহিরাগত হামলার নজির নেই। আমরা হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তারা কর্তব্য কাজে অবহেলা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। প্রেস ক্লাবের সাবেক নেতাদের নিন্দা : এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, খোন্দকার মনিরুল আলম ও শওকত মাহমুদ এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রেস ক্লাবে বহিরাগত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ সমর্থক একদল লাঠিয়াল বাহিনী প্রেস ক্লাবে যে নগ্ন হামলা করেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। প্রেস ক্লাব ঐতিহ্যবাহী একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এখানে যার যার মতের কথা তারা নির্বিঘ্নে বলবে। সাংবাদিকরা বাধাহীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এ অবস্থায় গণতন্ত্রের পক্ষে এবং বন্ধ গণমাধ্যম মুক্ত করার দাবিতে সাংবাদিকরা যখন একটি সমাবেশ করছিল, তখন শাসক দলের পেটোয়া বাহিনী এই ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একজন কর্মকর্তা ক্লাব চত্বরে উপস্থিত থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন এবং মিছিল করে বহিরাগতদের উত্সাহিত করেছেন। এ ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। আজ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ আজ সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলার প্রতিবাদ ও বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথভাবে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।
5e1a04f7-f7ca-482b-a52b-25dfbf585ff3
ব্রেকিং নিউজ >> - পুঁজিবাজারে ১০ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা! - সুপ্রিম কোর্টের আদেশও মানছেন না যমুনা ব্যাংক এমডি - ৬ কোম্পানির ইপিএসের মধ্যে ১টিতে চমক! - সিভিও পেট্রোক্যামিকেলের কারখানা পরিদর্শন করেছেন জ্বালানী সচিব - ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্সের শেয়ার নিয়ে তুঘলকী কান্ড! - বিএসইসির নজরদারীতে বীমা খাতের চার কোম্পানি! - পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন - ফের জেষ্ঠ্যতার লঙ্ঘন করলো গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়! - ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৮৯ শতাংশ, কারসাজিতে কর্মাস ব্যাংক সিকিউরিটিজ! - তিন ইস্যুতে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি’র হিড়িক!
5ef26fff-52bf-4c6e-8d88-95cbed2a9626
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার (অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ) সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। দেশের বাইরে টাকা পাচার রোধ করতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এই অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় আবাসনখাতের সংগঠন রিহ্যাব, ওষুধ শিল্প সমিতি, সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, অটো রি-রোলিং মিলস এসোসিয়েশন, ইট-পাথর ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন লিংকেজ শিল্পের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ই ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে যেকোন খাতেই কালো টাকা বিনিয়োগ করা যায়। আর যেহেতু দেশের অন্যান্য খাতের তুলনায় পুঁজিবাজার লাভজনক বেশি তাই এ খাতে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ আসবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পুঁজিবাজারের পাশাপাশি দেশের আবাসন খাতেও প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়ে আসছে। কারণ এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত হারে কর পরিশোধের মাধ্যমে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা যায়। এক্ষেত্রে এনবিআর অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করবে না বলে আয়কর অধ্যাদেশে রয়েছে। জানা গেছে, গত অর্থবছরে যেসব শর্তে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল সেগুলো হলো: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ব্যতীত অন্য সব শ্রেণীর করদাতা ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান সাপেক্ষে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের নিকট নির্ধারিত ছকে কর অনারোপিত আয়ের ঘোষণা প্রদান করতে হবে। ঘোষিত কর ও অনারোপিত আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা হবে না। ঘোষণাপত্রের সঙ্গে ১০ শতাংশ হারে কর পরিশোধের সমর্থনে পে-অর্ডার এর কপি, বিনিয়োগের সমর্থনে পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট ও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের লেজারের কপি সংযোজন করতে হবে। বিনিয়োগকৃত অর্থ নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত উত্তোলন বা অন্যত্র স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া কেবল বৈধ আয় যার ওপর প্রযোজ্য কর প্রদান করা হয়নি, তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা যাবে। তবে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় সাদা করার সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ মোট ১৫ বার দেয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কালো টাকা সাদা করা হয় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে। ঐ বছরে মোট ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা সাদা করা হয়। শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা
48ec0ee6-29b3-42c4-aff0-08b8f51338d4
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৩ এপ্র্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, অলিম্পিক এক্সেসরিজের বোর্ড সভা ২৩ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ সমাপ্ত সময়ের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
4d9c7208-77f5-4656-a65f-79690e98849b
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ২৫ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
5d9f4b38-5463-45dc-87cb-2a2aa6efe382
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে অবস্থান করছে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড। এদিন কোম্পানির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৬.৬৬ শতাংশ বেড়ে গেইনারের শীর্ষে উঠে আসে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যানুযায়ী, আজ কোম্পানিটি ১ হাজার ১৪১ বারে ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৬৭১টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। গতকাল কোম্পানির শেয়ার ক্লোজিং দর ছিল ১৩.৫০ টাকা যা আজ ক্লোজিং হয় ১৪.৪০ টাকায়। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে উসমানিয়া গ্লাস শীটের ৬.৩৭ শতাংশ, ইস্টার্ন লুবিকেন্টসের ৬.১৪ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫.৩৮ শতাংশ, এ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ৫.৩৬ শতাংশ, এএমসিএল (প্রাণ)-এর ৫.১০ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের ৪.৯২ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৬ শতাংশ, পেননিসুলা চিটাগাংয়ের ৪.৭৬ শতাংশ এবং প্রাইম ব্যাংকের ৪.৫০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
4d20b65a-716b-428f-a60b-430017dc7751
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বোর্ড সভা ২৪ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
651e049f-a389-49a8-b80b-54ad3dc74122
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বোর্ড সভা ২৪ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
847d59d4-a742-4be1-95f9-ff78b72c0583
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মার্কিন-চিন শুল্ক-যুদ্ধের দশা কাটিয়ে উঠে গত কয়েক দিনে ফের উত্থান দেখা গিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। দেশের অন্যতম শেয়ার ইন্ডিকেটর এমএসিডি (মুভিং অ্যাভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স)-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-র এমন ২৫টি স্টক রয়েছে যেখানে লগ্নি করা এই মুহূর্তে নিরাপদ নয়। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী। গত সপ্তাহের অস্থিরতা কাটিয়ে সোমবার সেনসেক্স বেড়েছে ১১২.৭৮ পয়েন্ট। নিফ্টি ৪৭.৭৫ পয়েন্ট। দেশের অন্যতম মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর এমএসিডি-র রিপোর্ট বলছে বিগত কয়েকদিনে সূচক ছুঁয়েছে ‘সিগন্যাল লাইন’। বাজারে এই ২৫টি স্টকে লগ্নি করলে সূচক ফের ‘সিগন্যাল লাইন’-এর নীচে নেমে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমএসিডি-র তালিকায় থাকা এই স্টকগুলি হল— রিল্যায়েন্স কম, এনএইচপিসি, হিন্দ পেট্রল, ক্রম্পটন গ্রিভস কন, মেরক্যাটর লিমিটেড, টাটা কমিউনিকেশনস, ওয়েলস্পান ইন্ডিয়া, ক্রিধান ইনফ্রা। রয়েছে আরও স্টক যেমন, অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন, ম্যাক্স ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, সাঙ্ঘি ইন্ডাস্ট্রি, কাঁসাই নেরোল্যাক পয়েন্ট, মানাক্সিয়া স্টিলস, এস্টার ইন্ডিয়া, ট্রান্সওয়ারেন্টি ফিন্যাঙ্ক, জাগরণ প্রকাশন, আলপা ল্যাবোরেটরিস লিমিটেড, ন্যাভিন ফ্লুয়োরিন ইন্টার, ভি মার্ট রিটেল, মঙ্গলম ড্রাগ, ম্যাকনালি ভারত ই, অরভিন্দ স্মার্টস্পেস, খাদিম ইন্ডিয়া, সেরা স্যানিট্যারিওয়ের, সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনটেলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু এমএসিডির তথ্যের উপর ভরসা না রেখে লগ্নিকারীরা অন্যান্য ইন্ডিকেটরের দেওয়া রিপোর্টও খতিয়ে দেখতে পারেন। এই ইন্ডিকেটরগুলোর মধ্যে রয়েছে রিলেটিভ স্ট্রেনথ ইনডেক্স (আরএসআই), বোলিঞ্জার ব্যান্ডস, ফিবোনাকি সিরিজ, ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নস এবং স্টক্যাসটিক। তবে, ওই ইন্ডিকেটরগুলির তথ্য বিবেচনা করে স্টক কেনা বা বিক্রির আগে লগ্নিকারীদের বিশেষত খুচরো ব্যবয়ায়ীদের আর্থিক উপদেষ্টাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এমএসিডি জানিয়েছে, বাজারে অনেক স্টক রয়েছে যেগুলি মুনাফার মুখ দেখতে পারে। কোয়ালটি, কেপিআইটি টেকনোলজি, গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, হিতাজি এয়ার কন্ডিশনিং ইন্ডিয়া, ডালমিয়া ভারত এবং ইউরোটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-র এমন সাতটি স্টক রয়েছে এমএসিডি-র ‘বাই সিগন্যাল’ তালিকায়। মোতিলাল অসওয়ালের ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর টেকলিক্যাল অ্যানালিস্ট চন্দন টাপারিয়া জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০ হাজারের সীমা ছাড়িয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টি। সূচক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাময়িক দুর্বলতা কাটিয়ে বাজারও ফিরছে তার চেনা ছকে। এমতাবস্থায় লগ্নিকারীদের অনেক সতর্ক থেকে স্টক কেনাবেচা করা উচিত। শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা
e5bf4708-ba93-46f0-a6c8-4c2ce3830b73
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারী-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের আরএক সিরামিক লিমিটেড। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্বনিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৮ টাকা। যা আগের তুলনায় একই সময় ছিল ০.৫৭ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্বনিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৮.৯৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫.৯৪ টাকা। আর শেয়ার প্রতি সম্বনিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৪১ টাকা (নেগেটিভ)। যা আগের বছর একই সনয় ছিল ১ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
4512488c-97aa-4e4b-bc6d-cc7ca9b94f35
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২০১৮ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৯০.৪৭ শতাংশ কমেছে। আজ কোম্পানিটির (জানুয়ারি-মার্চ,১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন হয়েছে। আলোচিত সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ০.০৬ টাকা ও এককভাবে ০.১১ টাকা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ০.৬৩ টাকা ও এককভাবে ০.২৯ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ শেষে কোম্পানির সমন্বিত প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪.৭৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.৯৩ টাকা ঋণাত্মক। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
b65b96af-22d5-4435-8192-8759c3667294
শেয়ারবাজার ডেস্ক: তৃতীয় বার্ষিক বাংলাদেশ বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) শীর্ষক সম্মেলন সফল ভাবে শেষ হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে এটি আয়োজন করে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার ও আউটসোর্সিং (বাককো)। আমরা কোম্পানিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ অত্র অনুষ্ঠানের ‘এআই এর অগ্রযাত্রা ও বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং) উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্যানেলিস্ট এর ভূমিকা পালন করেন এবং আমরা কোম্পানিজ এর হয়ে পার্টনার ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন আইটি পার্টনার ছিলো ‘আমরা’। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক সম্মানিত উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও তরুণরা। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত বিদেশীবিনিয়োগকারী এবংব্যবসায়ীও এতে অংশ নেন। বাংলাদেশে বিপিও শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়ক এই সম্মেলনের গর্বিত আইটি পার্টনার হিসাবে থাকতে পেরে ‘আমরা’ চিরকৃতজ্ঞ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
e292b306-e04c-4d50-80a5-2ff70960e952
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হার্ভেস্ট আইসক্রিমের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বাড়ানো হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হার্ভেস্ট আইসক্রিমের শেয়ার ছেড়ে ৭০ কোটি টাকা তুলে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে ১ কোটি ৫০ লাখ বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা, বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার আহমেদ রাজিব সামদানির কাছে ৩০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৩ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ৫ কোটি ২০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৫২ কোটি টাকা উত্তোলন করা হবে। পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির পরে সাবসিডিয়ারি গোল্ডেন হার্ভেস্ট আইসক্রিমের ৪৫ শতাংশ মালিকানা হবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর। এছাড়া ৩ শতাংশের মালিকানা আহমেদ রাজিব সামদানি এবং ৫২ শতাংশের মালিকানা হবে বিদ্যমানের বাইরে থাকা শেয়ারহোল্ডাররা। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
ad60f7a0-71e3-456b-a023-3396904a6e7d
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইবনে সিনার বোর্ড সভা ২৫ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
aee57277-295b-4516-bddd-1d1913a73b1a
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা ২৫ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
99ff3063-d69f-45b1-87f6-3abb8031757e
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ পরিবর্তন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। পরিবর্তীত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বোর্ড সভা ২৪ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এ কোম্পানির বোর্ড সভা ২২ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ সভার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
eec0c298-9b6c-434a-b414-d28a3777e1d7
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফাইন ফুডস তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারী-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির লাভ থেকে লোকসানে অবস্থান করছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯১ টাকা। একই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.১১৪ টাকা। এদিকে, চলতি বছরের ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৩৭৫ টাকা। একই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৫২৫ টাকা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.৪৫ টাকায় এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.১৫২ টাকা (নেগেটিভ)। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
df96f1e8-6992-4d08-9bbd-1e9c57de2f78
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রহিমা ফুড তৃতীয় প্রান্তিক বড় মুনাফা করেছে। মূলধনি আয় সংযোজন করায় কোম্পানিটির বড় মুনাফা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র মতে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ ৩১মার্চ শেষে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.৫৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০.৩৯ টাকা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.৩৫ টাকায় এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৩৫ টাকা (নেগেটিভ)। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
f55b7d65-54c0-44dd-a4ca-69c293be1f20
শেয়ারবাজার ডেস্ক: টানা নয়দিনের লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে চলেছে দেশ। এই ছুটির ফাঁদটা তৈরি হচ্ছে আগামী শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) থেকে। যদিও এই নয় দিনের মধ্যে সাতদিন হলো সরকারি ছুটি, মাঝখানে দুদিন থাকছে কর্মদিবস। স্বভাবতই এই দুইদিন কোনোভাবে ম্যানেজ করে লম্বা ছুটিটা উপভোগের চেষ্টা করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কীভাবে এই লম্বা ছুটি আসছে? আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল শুক্র ও শনি দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি হওয়াায় বন্ধ থাকছে অফিস। ২৯ এপ্রিল রোববার বৌদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটি। ৩০ এপ্রিল সোমবার থাকছে কর্মদিবস। এরপর শ্রমিক দিবসের ছুটি ১ মে। পরদিন ২ মে বুধবার থাকছে পবিত্র শবে বরাতের ছুটি। ৩ মে বৃহস্পতিবার অবশ্য কর্মদিবস, অফিস-আদালত খোলা থাকবে। আবার ৪ ও ৫ মে শুক্র ও শনিবার রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। ছুটির ফাঁদের কারণে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, এমনকি আকাশপথে উড়োজাহাজের টিকিট নিয়েও কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। ভ্রমণপিপাসুরা গ্রামের আপন ঠিকানার পাশাপাশি কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেটের মতো পর্যটন এলাকায় পাড়ি দেবেন। তাই এসব এলাকার টিকিটের চাহিদা বেশি। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
328330c9-8d1e-4e92-a0a1-c8a220148af1
শেয়ারবাজার ডেস্ক: অদ্ভুত সুন্দর একটি ফল আনার। তবে এটি শুধু দেখতেই যে ভালো তা নয়, এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্যকর গুণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর গুণসহ আনার অ্যান্টি-এজিং ফল হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক রূপচর্চাকেন্দ্র ‘আরবান ভেদা’-এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার রেন হোমস জানিয়েছেন এই ফলের জাদুকরী সব গুণের কথা। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিচর্যা করতে হবে এবং ত্বককে যেকোনো ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন জীবাণুরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। আর আনারে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ উপাদানটি। কোষের পুনরুজ্জীবন : আনারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড। ত্বকের প্রদাহ প্রশমিত করার গুণও রয়েছে এতে। তার সঙ্গে ফলটি ত্বকের কেরাটিনোসাইট কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটায়। ফলে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না ত্বকে। অ্যান্টি-এজিং উপাদান : ত্বকের ওপরের দিকের স্তরটি ডেরমিস। এটি কোলাজেন এবং ইলাস্টিক ফাইবার দিয়ে প্রস্তুত। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে এই ডেরমিস অংশে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। তখন কোলাজেন গঠনের জন্য প্রোটিনের সরবরাহ দিতে ভিটামিন ‘সি’ এর প্রয়োজন হয়। আনারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। অর্গানিস জুস : আনারের অর্গানিক জুস ত্বকের যত্নে দারুণ উপাদান। এর ক্ষুদ্র আকারের মলিকিউল গঠন ত্বকের গভীরে পৌঁছে তাকে হাইড্রেট করে। এই রসে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং সাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। ত্বকের মৃত অংশ দূর করা : আনারের হালকা মিষ্টি নরম বীচিগুলো সেঁচে তা খেলে ত্বকের মৃত অংশগুলো দূর হয়ে যায়। শেয়ারবাজার/অ
eb1ef2ff-378c-495b-bcc0-0c7e3b27d9a4
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানি ১৬৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো : এ্যাপেক্স ফুডস, আইডিএলসি, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার, ব্রিটিস আমেরিকান ট্যোবাকো, স্টাইলক্রাফট, গ্রামীণ ফোন, ডরিন পাওয়ার, জেনারেশন নেক্সট, ইসলামী ব্যাংক, কেঅ্যান্ডকিউ, লিনডে বিডি, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, উসমানিয়া গ্লাস, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অলিম্পিক, রেনেটা এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। লংকাবাংলা সিকিউরিটজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে এ সব কোম্পানির মোট ৩ কোটি ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৮টি শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন হয়। যার বাজার দর ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। কোম্পানিটির মোট ৪৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৭টি শেয়ার ১ বার হাত বদল হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ১০৭ শেয়ার ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির ১ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এ্যাপেক্স ফুডসের ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ৭০ লাখ টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, স্টাইলক্রাফটের ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার, গ্রামীণ ফোনের ২২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার, জেনারেশন নেক্সটের ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, কে অ্যান্ড কিউয়ের ৫ লাখ টাকার, লিনডে বিডির ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, এলআর গ্লোবালের ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, উসমানিয়া গ্লাসের ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, রেনেটার ২ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং ইউনাইটেড পাওয়ারের ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
e81a2212-b107-4587-8489-ff4a309f342f
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির লোকসান আগের তুলনায় কমেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৬.০৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার লোকসান ছিল ১৬.৪৯ টাকা। এদিকে নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯.১৪ টাকা । গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪.৪২ টাকা। ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৭.৩৪ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫০.৩৩ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
e7b63599-93a0-4ef4-95cc-bd5564b706e9
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার লিমিটেডের টিস্যু ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। ডিএসই সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টিস্যু ইউনিট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তাই পরিচালনা পর্ষদ আজ ২২ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর পরীক্ষামূলক উৎপাদনের কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে কোম্পানিটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ নির্ধারণ করবে। এর আগে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংশোধিত প্রস্তাবের মাধ্যমে টিস্যু পেপার প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করেছিল। কোম্পানিটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন ও বেসামরিক ভিত্তি কাজের জন্য প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করেছিল। কোম্পানির টিস্যু পেপার প্রকল্পের ব্যয় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা থেকে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেড়েছিল। ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
72d1bd7b-b096-46ee-9078-d2a101b46e52
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওর্য়াক লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি লোকসান থেকে মুনাফায় অবস্থান করছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০.১৩ টাকা। এদিকে নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৫ টাকা । গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.১১ টাকা। এছাড়া ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৮৩ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১.৯৬ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
6233842d-e44e-4eba-ace1-d21c3c9b9783
শেয়ারবাজার ডেস্ক: অনিবার্য কারণবশত পরিচালনা পর্ষদ সভা স্থগিত করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। পরিবর্তীত তারিখ অনুযায়ী ব্যাংকটির বোর্ড সভা আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ট্রাস্ট ব্যাংকের বোর্ড সভা আজ ২৪ এপ্রিল, বিকেল পৌন ৩টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ সভা স্থগিত করা হয়েছে। উক্ত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়াগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। এছাড়া কোম্পানিটি একই সভায় ৩১ মার্চ ২০১৮ সমাপ্ত সময়ের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
eaf8c011-14dc-4a97-bb4e-d077942ff442
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
cb781441-20e1-4d22-84d9-4031b2ec9b8d
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
0e0425d4-3aa0-4d49-8578-b73fd17340bb
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
eb21b654-ce12-4f19-9cc3-2e0846b3e56e
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়িয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়, বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে আসীন সরকারের সিনিয়র সচিব পদ মর্যদার চুক্তি ভিত্তিক নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের চুক্তির মেয়াদ পূর্বের ধারাবাহিকতায় ১৪ মে ২০১৮ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর বৃদ্ধি করা হলো। এর আগে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সরকারের সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা লাভ করেন তিনি। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল চার বছরের চুক্তিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ পান তিনি। তিনি যোগ দেন ওই বছরের ১৫ মে। আগামী ১৪ মে তার মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিল। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
bb7ef5ae-663d-41ad-beb6-0cc90c7142fc
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৯ টাকা, শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে সমন্বিত ১৬.৫১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সমন্বিত ২৬.১৯ টাকা (নেগেটিভ)। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুন, সকাল ১১টায় কুর্মিটলা গল্ফ ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
c559c3aa-87e2-4d83-9a56-02912c3d9bb1
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
74cf6ea9-dd1b-4f38-ab98-4ed8f027e09e
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৪৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৩৩ টাকা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪০.৭৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩.১০ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ জুলাই, সকাল ১১টায় ঢাকা স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
4a326d25-ef03-45e2-a98d-ec0b5282bed8
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ ক্যাশ চূড়ান্ত ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫০০ শতাংশ অন্তবর্তীকালিন ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ৬০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিবে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২.১৫ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৫.৭২ টাকা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৭.৩৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৮.৯২ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ জুলাই, সকাল ১০টায়, হোটেল রেডিশন ব্লুতে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জুন। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
49e3496d-c4dd-470e-adbf-45812f115adf
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৩৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২.১৫ টাকা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯.৫৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.০২ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ জুন, সকাল ১১টায় রাওয়া কনভেনশন হল, মহাখালীতে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
6f390d42-88aa-4b62-8796-ad5a064262b1
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৯ মাসের (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) আগের তুলনায় ৪৩.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৬ টাকা (Adjusted)। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩৯ টাকা (Adjusted)। সে হিসেবে কোম্পানি ইপিএস বেড়েছে ০.১৭ টাকা বা ৪৩.৫৮ শতাংশ। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১.৯৩ টাকা (Adjusted)। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
7f11682f-9801-4c61-bbc8-bfb306a83932
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রুপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর মধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিবে। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৭৫ টাকা (রিস্টেটেড)। এছাড়া শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২.২০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৭৩ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৪ জুলাই, সকাল ১১টায় ঢাকা ইম্পেরিয়াল কনভেনশন সেন্টার, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
b10c0453-7001-4ea1-830b-782d37d03b5a
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বন্ড ছেড়ে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্ডটি হবে ৭ বছর মেয়াদি ‘দ্বিতীয় সাবঅর্ডিনেটেড মুদারাবা’। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বাসেল ৩ অনুযায়ী টায়ার টু মূলধন বাড়াতে বন্ডটি ছাড়া হবে। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
bb14ab02-858b-4f1f-a414-0eb6be76f04c
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৮ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩.১০ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯.২১ টাকা এবং শেযার প্রতি সমন্বিত নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭.৬০ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্র ব্যাংকটি আগামী ২৭ জুন সকাল ১১টায় কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হয়েছে ২২ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
d71903ae-df6f-4ddf-9def-8a65f774b368
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরি লি:। এই সময় শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১.৪৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৫.৩১ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.১৮ টাকা ঋণাত্মক। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৭.৬০ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
c730d461-90f9-484c-9b75-c94f366f5742
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ‘বিএনপি একটি অশুভ দল। তারা যেকোন সময় অঘটন ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন তিনি। সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিএনপি যেকোন সময় অঘটন ঘটাতে পারে । যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপনারা ঐকবধ্য, সজাগ ও সতর্ক থাকুন। বিএনপির নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কী আপনাদের নির্বাচনে আসতে বাধা দিয়েছিল? আপনার নির্বাচনে (দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন) আসলেন না। এটা কী আওয়ামী লীগের দোষ। নির্বাচন কী গণভোজ যে যখন খুশি তখন দেওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ টুকু বলতে পারি, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ওই নির্বাচনে আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন। যদি আবারও নির্বাচন বয়কট করেন তাহলে আপনাদের (বিএনপি) আর অস্তিত্ব থাকবে না। শেয়ারবাজার/অ
ad80aad5-3692-4362-8e4f-b1e769e93c20
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট। এই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৫০ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৭৮ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪.০৪ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
6170b7e5-5cce-433d-a761-ce6cf6bb9255
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.২৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.১৫ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২১.৯১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২১.৯১ টাকা ঋণাত্নক। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ জুন, সকাল ১১টায় গ্রান্ড বল রুম, প্যান প্যাসিফিক সোনরাগাঁও হোটেল, কারওয়ান বাজার , ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
1baf214b-7f09-4393-8ac9-f0ba294f7e64
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট। এই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.২৭ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৭৭ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩.৩৫ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
f8e34bc4-3ecd-4815-84b6-0f53efd1a9a9
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫৫.১৭ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৫ টাকা।যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.২৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১৬ টাকা বা ৫৫.১৭ শতাংশ। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.২৮ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯.২৫ টাকা। শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর
26a80a8d-e5e4-4678-9b0f-4cfaa1fca8cb
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ইতালির মিলান শহরের সেন্ট্রাল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম শামসুল হক স্বপন। সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে মিলানোর সেত্তেমবিরিনি নামক একটি রাস্তায় স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এতে আহত হন আরো দুইজন। তারা সবাই একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
5df25a09-c19b-47d4-b809-55d21c1824a1
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের কারণে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাতে জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅপারেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) এর প্রধান মার্ক কাটস একথা জানান। তিনি বলেন, গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমারের উত্তরপ্রান্তে চীন সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যে ৪ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও এর আগে বছরের শুরুতে ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ-সহিংসতার কারণে আরো প্রায় ১৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১১ সালে মিয়ানমার সরকার ও শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচান ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙ্গে যাবার পর থেকে কাচিন ও শান রাজ্যের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যূত মানুষের সংখ্যা ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে। এছাড়াও মিয়ামারের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রোহিঙ্গা বড় ধরনের সংকট চলমান রয়েছে। গত বছরের ২৮ আগস্ট মিয়ানামরে সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। যার কারণে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র: এএফপি’র শেয়ারবাজারনিউজ/মু
d7df3257-9c8c-475f-ad92-3fe2c58c547a
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দুই দেশের সর্ম্পক জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত চাই জি এ মত ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ বৈঠককালে চাই জি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বুদ্ধিমান ও কঠোর পরিশ্রমী। বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নে এখন স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আরও আর্থিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে চীনের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় চাই জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান, বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পকের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ২৪ মে চীনের ভাইস প্রিমিয়ার লিউ ইয়াংডঙ্গ বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলেও জানান এই বিশেষ দূত। শেয়ারবাজারনিউজ/অ/ও
f5dedce2-d133-4fa1-aec9-8a2189cb5950
শেয়ারবাজার ডেস্ক: গ্রিল চিকেন নাম শুনলেই জিভে এসে যায় অনেকের। গ্রিল চিকেন ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। বড় বড় রেস্তরাঁর বাইরে কাবাব হতে থাকা মুরগিগুলো দেখলে আর এর সুভাস একবার নাকে গেলে লোভ সামলানো যায় না। তবে অনেকেই স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে লাল মাংস এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তারা লাল মাংসের গ্রিল এড়িয়ে চলেন। তবে গবেষকরা বলছেন, শুধু লাল মাংস-ই নয়, মাছ ও সাদা মাংসের গ্রিলও উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। গবেষকরা বলছেন, গ্রিল যে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, সে বিষয়ে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আর তাই গবেষকরা সাদা মাংস সিদ্ধ করে খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার গবেষণা প্রতিবেদন যাচাই বাছাই শেষে গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রিল কেবল উচ্চ রক্তচাপ-ই নয়, এটি ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের জন্যও কিছুটা দায়ী। প্রথমে তারা জাতীয় নার্সেস হেলথ স্টাডির ৩২ হাজার ৯২৫টি গবেষণা প্রতিবেদন যাচাই করেন। এরপর সেখান থেকে ৫৩ হাজার ৮৫২ নারীর উক্তি নিয়ে গবেষণা করেন তারা। সবশেষে এক লাখ ১৭ হাজার ১০৪ জন পুরুষের বিষয়ে তথ্য নেন তারা। প্রতিটি গবেষণাতেই ওই নারী-পুরুষদের ডায়েট থেকে ঘুম পর্যন্ত, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা রয়েছে। গবেষকরা খাদ্য, রান্নার সামগ্রী ও উচ্চ রক্তচাপের উপর গবেষণা করেন। গবেষণার শুরুতে তাদের কারও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ অথবা ক্যান্সারের মতো কোন জটিল রোগ ছিল না। তবে ১২ বছর পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৩৭ হাজার ১২৩ জন পুরুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগছেন। তবে উচ্চ রক্তচাপের পেছনে রান্নার ধরণও অনেকটা দায়ী বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পরিবারে সপ্তাহে অন্তত এক বার লাল মাংস বা মুরগি বা মাছ গ্রিল করা হয়েছে, সেসব পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার প্রবণতা বেশি। মূলত, উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে ধরণ-ই দায়ী। যারা অতিরিক্ত গ্রিল খেয়েছেন, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার প্রবণতাও বেশি। গবেষণায় বলা হয়, উচ্চ তাপমাত্রায় এসব রান্না করার ফলে মাংস থেকে এক ধরণের রাসায়নিকত উপাদান তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রায় অক্সিডেটিভ চাপ, প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধক উদ্ভাবন করে এবং এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ বিকাশ ঘটে। এর ফলে শুধু উচ্চ রক্তচাপ-ই নয়, বরং হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ধমনীগুলো অনেক সময় সঙ্কুচিত হয়ে যায়। শেয়ারবাজারনিউজ/মু
f2447a63-5f9f-4951-badc-cf96c5fbd89a
শেয়ারবাজার ডেস্ক: তামিলনাড়ুর শত শত বছরের পুরোনো একটি খেলা জালিকাট্টু। যে খেলায় ষাঁড়ের শিংয়ের সাথে নানা রকম পুরস্কার বেঁধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় – আর হাজার হাজার লোকে ষাঁড়টিকে তাড়া করে সেগুলো খুলে নেবার চেষ্টা করে। এ সময় ধাবমান ষাঁড়ের গুঁতোয় বা খুরের আঘাতে বহু লোকের মৃত্যুও হয়। যা জানুয়ারি মাসে পোঙ্গল নামে ফসল-ওঠার উৎসবের সময় অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সেলভারানি কানাগারাসু নামে এক মহিলা এই জালিকাট্টু খেলার ষাঁড়ের যত্ন নেবার জন্য জীবনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেলভারানির বয়েস এখন ৪৮, তার পোষা ষাঁড়টির নাম ‘রামু’ – এবং সে পাঁচ বার জালিকাট্টুর শিরোপা জিতেছে। এ ক্ষেত্রে রামু এখন ‘কিংবদন্তীর’ মর্যাদা পাচ্ছে। প্রতিযোগিতার নিয়ম হলো, কেউ যদি ষাঁড়ের কাঁধ ধরে ঝুলে থেকে ১৫-২০ মিটার পার করতে পারে বা ষাঁড়ের তিনটি লাফ টিকে থাকতে পারে – তাহলে সে জয়ী হয়। কেউ তা না পারলে ষাঁড়টিই জয়ী হবে। সেলভারানির পিতা এবং পিতামহও জালিকাট্টুর ষাঁড় পালন করতেন। সেলভারানি কিশোরী বয়েসেই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছিলেন যে তিনিও এ কাজই করবেন। তামিলনাড়ুতে মাঝখানে দু’বছরের জন্য জালিকা্ট্টু নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট – প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণ দেখিয়ে। কিন্তু এ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে কেন্দ্রীয় সরকার এটা আবার চালু করার অনুমতি দেয়। সেলভারানি কানাগারাসু বলেন, আমার বাবা ও দাদু দুজনেই জালিকাট্টুর ষাঁড় পালতেন, এবং সেটাকে তাদের সন্তানের মতোই মনে করতেন। কিন্তু সেলাভারানির দুই ভাই জালিকাট্টুর ব্যাপারে উৎসাহী না হওয়ায় নারী হয়েও তিনিই এই পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। রামুর বিজয়ের জন্য সেলভারানি পুরস্কার হিসেবে সিল্কের শাড়ি এবং স্বর্ণমুদ্রা পুরস্কার পেয়েছেন। তার কথা : ‘রামু আমার সন্তানের মতো। যে শুধু আমাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে তাই নয় – আমার পরিবারকে সম্মানও এনে দিয়েছে।’ শেয়ারবাজারনিউজ/মু
7c0ed433-d67d-4e19-915e-8c97b26efeac
শেয়ারবাজার ডেস্ক: তামিলনাড়ুর শত শত বছরের পুরোনো একটি খেলা জালিকাট্টু। যে খেলায় ষাঁড়ের শিংয়ের সাথে নানা রকম পুরস্কার বেঁধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় – আর হাজার হাজার লোকে ষাঁড়টিকে তাড়া করে সেগুলো খুলে নেবার চেষ্টা করে। এ সময় ধাবমান ষাঁড়ের গুঁতোয় বা খুরের আঘাতে বহু লোকের মৃত্যুও হয়। যা জানুয়ারি মাসে পোঙ্গল নামে ফসল-ওঠার উৎসবের সময় অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সেলভারানি কানাগারাসু নামে এক মহিলা এই জালিকাট্টু খেলার ষাঁড়ের যত্ন নেবার জন্য জীবনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেলভারানির বয়েস এখন ৪৮, তার পোষা ষাঁড়টির নাম ‘রামু’ – এবং সে পাঁচ বার জালিকাট্টুর শিরোপা জিতেছে। এ ক্ষেত্রে রামু এখন ‘কিংবদন্তীর’ মর্যাদা পাচ্ছে। প্রতিযোগিতার নিয়ম হলো, কেউ যদি ষাঁড়ের কাঁধ ধরে ঝুলে থেকে ১৫-২০ মিটার পার করতে পারে বা ষাঁড়ের তিনটি লাফ টিকে থাকতে পারে – তাহলে সে জয়ী হয়। কেউ তা না পারলে ষাঁড়টিই জয়ী হবে। সেলভারানির পিতা এবং পিতামহও জালিকাট্টুর ষাঁড় পালন করতেন। সেলভারানি কিশোরী বয়েসেই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছিলেন যে তিনিও এ কাজই করবেন। তামিলনাড়ুতে মাঝখানে দু’বছরের জন্য জালিকা্ট্টু নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট – প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণ দেখিয়ে। কিন্তু এ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে কেন্দ্রীয় সরকার এটা আবার চালু করার অনুমতি দেয়। সেলভারানি কানাগারাসু বলেন, আমার বাবা ও দাদু দুজনেই জালিকাট্টুর ষাঁড় পালতেন, এবং সেটাকে তাদের সন্তানের মতোই মনে করতেন। কিন্তু সেলাভারানির দুই ভাই জালিকাট্টুর ব্যাপারে উৎসাহী না হওয়ায় নারী হয়েও তিনিই এই পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। রামুর বিজয়ের জন্য সেলভারানি পুরস্কার হিসেবে সিল্কের শাড়ি এবং স্বর্ণমুদ্রা পুরস্কার পেয়েছেন। তার কথা : ‘রামু আমার সন্তানের মতো। যে শুধু আমাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে তাই নয় – আমার পরিবারকে সম্মানও এনে দিয়েছে।’ শেয়ারবাজারনিউজ/মু
b45a9915-790b-4712-bafc-fb2bbbfed0eb
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যুনতম ১০ শতাংশ বা এর বেশিসংখ্যক শেয়ার অধিগ্রহণ অর্থাৎ কেনার প্রক্রিয়া সহজ করতে সংশ্নিষ্ট আইন সংশোধন করে জনমতের জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে খসড়ায় আইনটি সহজ করতে গিয়ে এ আইনের নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্ত ও শাস্তির বিধান সম্পর্কিত বিদ্যমান আট ধারার পুরো অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ’ শীর্ষক ২০০২ সালের বিধিমালাটি ব্যাপক সংশোধন করতে খসড়া চূড়ান্ত করেছে কমিশন। এরই মধ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য তা সংস্থার ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বিদ্যমান ২০০২ সালের আইন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশ বা এর বেশি শেয়ার কিনতে হলে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংঘবদ্ধ গ্রুপকে আগাম ঘোষণা দিতে হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ ঘোষণা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয় এবং অন্তত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে দিতে হয়। আইনের এ বিধান অহরহ লঙ্ঘন হচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চুপ। যদিও এ আইনের বিধান ভঙ্গের দায়ে সংশ্নিষ্টদের শেয়ার ব্যবসা না করার নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা আছে বিএসইসির। এ ছাড়া কমিশন চাইলে সংশ্নিষ্টকে ক্রয় করা শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বা অবিলম্বে বিক্রির নির্দেশও দিতে পারে। এর বাইরে অন্য শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা আছে সংস্থার, যা আইনটিতে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া শেয়ার ক্রয়ে জড়িত ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ আছে। নতুন সংশোধন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য’ শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধু স্টক এক্সচেঞ্জকে জানালেই হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশের আগে ওই শেয়ার কেনা যাবে না। তবে দুর্বল মৌল ভিত্তির কোম্পানিকে পুনরুজ্জীবিত করতে শেয়ার কিনতে চাইলে উদ্দেশ্য ও শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণবিষয়ক বিস্তারিত জানিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ ও দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এখানে দুর্বল কোম্পানি বলতে পুঞ্জীভূত লোকসানি কোম্পানি বা সর্বশেষ তিন বছর অভিহিত মূল্যের নিচে বাজারে শেয়ারটি কেনাবেচা হচ্ছে বা সর্বশেষ পাঁচ বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয় না- এমন কোম্পানিকে বোঝানো হয়েছে। তবে সংশোধিত আইনের খসড়ায় এ বিধান অমান্য করলে কী হবে, তা বলা হয়নি। বরং বিদ্যমান আইনের সব ধারা সংবলিত পুরো পঞ্চম অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
00de9904-eddc-4f80-8657-82f6ff5c1e8d
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড শেয়ারে আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির আইপিও আবেদনের আগামীকাল ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকায় ইলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) কাছে আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করবে বসুন্ধরা পেপার। কোম্পানিটির ১০০টি শেয়ারে লট ধরা হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতি লটে ৭ হাজার ২০০ টাকায় আইপিও আবেদন করতে পারবেন। তথ্যানুসারে, বসুন্ধরা পেপার পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইস বা ৮০ টাকা দরে ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছে ১২৫ কোটি টাকায় ইস্যু করা হবে। বাকি ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে ৭২ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকায় বিক্রি করা হবে। এর আগে আইপিওর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে ২০১৬ সালের ৩০ জুন রোড শোর আয়োজন করে বসুন্ধরা পেপার। রোড শোর এক বছরেরও বেশি সময় পরে ২০১৭ সালের আগস্টে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের পর গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বিনিয়োগকারীদের কাছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি। কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুসারে, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি ৫ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয়নির্বাহে খরচ করবে বসুন্ধরা পেপার। ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা। সম্পদ মূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩০.৪৯ টাকা। উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শেয়ারবাজারনিউজ/আ
0de7821f-2682-4c82-966f-b855ddcedbfe
শেয়ারবাজার ডেস্ক: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকার নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৪১টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএর নৌ–নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদীবন্দর নৌযান পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা। দীনেশ কুমার সাহা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় ঢাকা নদীবন্দরের ৪১টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল আজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ থেকে ৮০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ সংখ্যা বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে আজ সকালে। কালবৈশাখীর সঙ্গে আসে এ বৃষ্টি। সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। দুটো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে কালবৈশাখীর গতিবেগ নির্ণয় করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় সকাল সাড়ে আটটায় আঘাত হানা কালবৈশাখীর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আরেক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬৩ কিলোমিটার। আজ এবং আগামী আরও দুদিন ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শেয়ারবাজারনিউজ/মু