document_id
stringlengths 36
36
| text
stringlengths 253
70.2k
|
---|---|
51e236ab-750e-4ea9-bd98-db56c56c7296 | শেয়ারবোর্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস দিনভর সুচকের উঠানামা চললেও দিনশেষে সুচকের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত হয়ে পড়ছে। কোন মতেই লেনদেন বাড়ছে না। বরং লেনদেন ঘুরে ফিরে ৩শত কোটি ঘরেই। কিছুতেই লেনদেন বাড়ছে না। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজার উন্নতি কোন পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের চোখে পড়ছে না বলে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম। আজ উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৩৪ কোটি ২৮ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
আজ উভয় পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক বাড়লেও অন্য সূচকগুলোতে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে প্রায় ৩ পয়েন্ট এবং সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ১ পয়েন্ট। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪১১ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬ পয়েন্টে এবং ০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১১৫টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৭২টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-একমি ল্যাবরেটরিজ, আমান ফিড, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, এমারেল্ড অয়েল, বিএসআরএম লিমিটেড, কাশেম ড্রাইসেল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।
অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার বেশি।
আজ সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ২৫০ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২ পয়েন্টে ও সিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ৮০টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- একমি ল্যাবরেটরিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ফার কেমিক্যাল, ইউনাইটেড এয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ডোরিন পাওয়ার, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম এবং কাশেম ড্রাইসেল। |
b5bb19d0-1e7b-40c4-9b8d-3e430bc67c30 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি গোল্ডেন সনের শেয়ারের।
আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৬.৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে বুধবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার গোল্ডেন সনের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৩ টাকা। বুধবার দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৬ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ২৩.২ টাকা থেকে ২৪.৮ টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— এমারেল্ড অয়েলের ৬.৮০ শতাংশ, সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৫১ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এর ৫.৬৭ শতাংশ, কাশেম ড্রাইসেলের ৫.৩৯ শতাংশ,
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৬ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিকসের ৪.৭১ শতাংশ, সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজের ৪.৬৫ শতাংশ, সিনোবাংলা ইন্ডাষ্ট্রিজের ৪.১১ শতাংশ, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৭৭ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
015f1d66-0bd6-40dd-9fd0-5c25475665d1 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ারের।
আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫.৮০ শতাংশ। মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে বুধবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৬.৯ টাকা। বুধবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৬.৪ টাকা থেকে ৬.৫ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩.৯৬ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ এর ৩.৬৯ শতাংশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ৩.৩২ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ২.৭৬ শতাংশ,
আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের ২.৫৬ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৫৩ শতাংশ, প্রিমিয়ার লীজিং এর ২.৩৩ শতাংশ, সাফকো স্পিনিং এর ২.৩৩ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামি ইন্স্যুরেন্সের ২.২৪ শতাংশ দর কমেছে। |
e3147254-9ae8-45fd-b556-6e9f2e4a19e0 | শেয়ারবোর্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা তাদের ওষুধ এখন থেকে কুয়েতে রপ্তানি করবে। আগামীকাল থেকেই কুয়েতে কোম্পানির ওষুধ রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। কোম্পানি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মার ওষুধ রপ্তানিতে ইউএসএ, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা এবং ব্রাজিলের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন রয়েছে। এবার কোম্পানিটির উৎপাদিত পণ্য কুয়েতে রপ্তানি হবে। এজন্য আগামীকাল বেলা ১২টায় বেক্সিমকো ফার্মা প্লান্ট, টঙ্গি, গাজীপুরে রপ্তানি প্রক্রিয়া চালুর উদ্বোধন হবে।
উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের অ্যাম্বাসেডর আদিল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
১৯৮৬ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এর উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকরী এবং ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে। |
ca6aa513-0c8f-4f33-9bc2-2d7ab02f5ba4 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিএসআরএম স্টীল ও বিএসআরএম লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদন খবরে প্রভাব পড়েছে এ কোম্পানির শেয়ারে।
আজ এ কোম্পানির শেয়ারের দাম উৎপাদনের খবরে বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার এ কোম্পানির শেয়ারের দাম ১৪৭.৭০ টাকায় লেনদেন হলেও আজ দুপুর ১টায় সময় এ কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয় ১৫০.৪০ টাকায় লেনদেন হয়। তবে বাণিজ্যিক উৎপাদন খবরে এ শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।
সূত্র মতে, আজ থেকে বিএসআরএম গ্রুপের ২ কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে কোম্পানিটি এমএস বিলেটস উৎপাদন করবে।
আর এতে কোম্পানিটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিএসআরএম স্টিলের ২৫. ৩৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। আর বিএসআরএম লিমিটেডের ৪৪.৯৭ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। |
ea3d1350-dfdb-43de-9814-98ca15426021 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রায় দেড় বছর পর সংশ্লিষ্ট বিধিমালার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা শিগগিরই জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর আইনটির বাস্তবায়ন হলে বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বাড়বে। এতে করে বাজারের অন্যান্য বিনিয়োগকারীদেরও যোগসাজুস বাড়বে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২২ জুনের মধ্যে ইটিএফ চালুর পরিকল্পনা ছিল বিএসইসির। তবে এ বিষয়ে তেমন অগ্রগতি না থাকায় গত মার্চে অর্থ মন্ত্রণালয় অসন্তোষ প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির নিবার্হী পরিচালক ও মূখপাত্র এম. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো স্টক এক্সচেঞ্জের নির্দিষ্ট সূচক, সূচকভুক্ত কোম্পানি কিংবা নির্দিষ্ট খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে দেড় বছর ধরে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড চালু করতে যৌথভাবে কাজ করছে দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলো।
বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার আওতায় বিশেষ ধরনের এ সামষ্টিক তহবিল চালু বা পরিচালনা সম্ভব না হওয়ার কারণেই আলাদা বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ বিশ্বের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকদের সংঘ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসসিও) সিদ্ধান্ত অনুসারে, ইটিএফ ও মিউচুয়াল ফান্ডের মতো অন্যান্য সমষ্টিগত বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএস) জন্য আলাদা বিধিমালা থাকতে হবে সদস্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইটিএফ কে কালেকটিভ ইনভেষ্টমেন্ট স্কীম হিসেবে চালু করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) রুলস, ২০১৬ আজকের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগ গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ৫৭৪তম সভায় এ ফান্ডের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
জানা যায়, কালেকটিভ ইনভেষ্টমেন্ট স্কীম এর আওতায় এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বে-মেয়াদী হিসেবে গঠিত হলেও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে। ফান্ডে নূন্যতম আকার হবে ৫০ কোটি টাকা তবে অথরাইজড পার্টিসিপেন্টস এর মাধ্যমে ক্রিয়েশন ও রিডেম্পশন দ্বারা ফান্ডের আকার পরিবর্তন সম্ভব হবে।
যেহেতু ফান্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে সেহেতু ফান্ডের এনএভি ও বাজার এর মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হলে অথরাইজড পার্টিসিপেন্ট গণ আর্বিট্রেজ ফাঙ্কশন পালন করবে। এছাড়া এ ফান্ডের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকার/ স্টক ডিলার ঘন যারা অথরাইজড পার্টিসিপেন্টস হিসেবে কাজ করবেন তারা মার্কেট মেকারের ভূমিকাও পালন করবেন।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড মূলত ইনডেক্স বেসড ফান্ড যা জেনারেল ইনডেক্স অথবা ইসলামিক ইনডেক্স বেসড হতে পারে। ইলিজিবল ইনভেস্টরদের নিকট প্রাইভেট প্লেসমেন্টে এর মাধ্যমেই মূলত ফান্ড গঠিত হবে। তবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফান্ড গঠিত না হলে কমিশনের অনুমোদনক্রমে পাবলিক অফারের মাধ্যমেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, দেশীয় পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মৌলভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠিত হচ্ছে। ইটিএফ এক প্রকার বেমেয়াদি (ওপেন এন্ডেড) সামষ্টিক বিনিয়োগ তহবিল। বেমেয়াদি হলেও এ ফান্ডের ইউনিট সেকেন্ডারি বাজারে লেনদেন করা যায়।
মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এর কিছু পৃথক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের তহবিল দিয়ে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত যেকোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা যায়। আর ইটিএফ শুধু শেয়ারবাজারের সূচক, সূচকভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বা পূর্বনির্দিষ্ট খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হয়।
সাধারণত যেসব বিনিয়োগকারী নির্ধারিত সূচকে অন্তর্ভুক্ত সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু সক্ষমতা নেই এবং যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পোর্টফোলিও খরচ কমাতে চান, তারাই ইটিএফ ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইটিএফ এর অর্থ সংগ্রহ করা যায় না। বাজারে শুধু বড় ব্লক ইস্যু করতে পারে, যা ‘ক্রিয়েশন ইউনিট’ নামে পরিচিত। সাধারণত ব্যাংক, ব্রোকার-ডিলার, ট্রেডিং হাউজ এবং ইনস্টিটিউশনাল ফার্ম বা বিশেষজ্ঞ দ্বারা অনুমোদিত অংশগ্রহণকারীরা ইটিএফের ক্রিয়েশন ইউনিট নিতে পারবেন। ক্রিয়েশন ইউনিট কেনার পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এর পৃথকীকরণ করতে পারবেন এবং সেগুলো সেকেন্ডারি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। |
11a2e6e6-d7e7-4d55-86ac-fbe93d251e44 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢা্কা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের পুঁজিবাজার ৯ দিনের ছুটি কবলে পড়তে যাচ্ছে। আগামী ১লা থেকে ৯য় জুলাই টানা নয় দিন বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের উভয় স্টক একচঞ্জে। বিষয়টি আগামী রোববার (১৯ জুন) পরিচালনা পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
এবার ঈদুল ফিতর ৬ জুলাই (বুধবার) সম্ভাব্য ধরে ৫ থেকে ৭ জুলাই তিনদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ঈদের সরকারি ছুটি থাকবে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার। এছাড়াও রোববার (৩ জুলাই) শবে কদরের ছুটি রয়েছে। এর পরে সোমবার (৪ জুলাই) একদিন অফিস রয়েছে। ফলে ওইদিন অফিসে এক রকম অঘোষিত ছুটি থাকবে।
সে হিসেবে ছুটি শুরু হবে ১ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ৯ জুলাই (শনিবার) পর্যন্ত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রোবারের বোর্ড সভার পরই জানা যাবে। এছাড়াও ব্যাংক, বিমা ও অফিস-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ৪ জুলাই বন্ধ নিয়ে টানা নয় দিন ছুটির পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। |
e0a8dccc-a352-4b52-b6c5-de03ec046a40 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেল। ইউনাইটেড এয়ার ২২৪ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির নিবার্হী পরিচালক ও মূখপাত্র এম. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে এ বন্ড ইস্যু করবে কোম্পানিটি। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হবে- নন কনভার্টেবল, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, সিকিউড সাবওর্ডিনেটেড বন্ড।আর বন্ডটি ৬ বছরের মেয়াদসহ ১ বছর লকিং থাকবে। এর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ বিমান কেনার জন্য ডাউনপেমেন্ট, ঋণ পরিশোধ, সিভিল অ্যাভিয়েশনের ফি ও অন্যান্য দেনা পরিশোধের জন্য ব্যয় করবে কোম্পানিটি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিরা এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেডের এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। সুদের হার ১২.৫০ শতাংশ।
বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি এবং রেইস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) লিমিটেড। |
152044df-4673-4af6-8f53-bdc2daee9ba6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সুচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সুচকের দরপতনে বিনিয়োগকোরীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বর্তমান বাজার কারসাজি চক্র নিয়ন্ত্রক করছে বলে অভিযোগ করেন। কারন বাজার সুষ্ঠু গতিতে চলছে না। বাজারে যে নিজস্ব গতি রয়েছে তা দেখা যাচ্ছে না। কার অদৃশ্য ইশারায় বাজার চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার সূচক পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন। দিনশেষে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছুদিন ধারাবাহিক দরপতন হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। অনেক কোম্পানির শেয়ার দর প্রত্যাশার তুলনায় নিচে নেমে গেছে। ফলে শেয়ার বিক্রি করে লোকসান কমানোর চেষ্টা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বেড়েছে। যার কারণে সূচক পতন হলেও লেনদেনে কিছুটা উল্লম্ফন দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরীয়া সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮০ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৮ কমে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিন শেষে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। যা গত কার্যদিবসের চেয়ে ১৭৩ কোটি টাকা বেশি। গত কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৫৭ কোটি টাকা। ডিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৫৬টির আর অপরিবর্তিত আছে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে থেকে এক হাজার ১ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এছাড়া, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ২৪০ পয়েন্টে, সিএএসপিআই ১৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসআই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ৯৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ সিএসইতে মোট ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১১১টির আর অপরিবর্তিত আছে ৫৪টি কোম্পানির শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। |
024b752b-2eee-4bb7-be14-e741620caafe | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হঠাৎ গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার শেষ নেই। বিনিয়োগকারীদের একটাই প্রশ্ন হঠাৎ এত লেনদেনের কারন কি?
বাজার কি সামনে আরো খারাপ হবে। না ঈদ পরবতর্তী বাজার আরো ভাল হবে নিয়ে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে আলোচনার শেষ নেই। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা মনে করেন বাজার সামনে আরো ভাল হবে। আর কত কাল বাজার খারাপ থাকবে।
বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিনশেষে টার্নওভারের শীর্ষে অবস্থান করছে একমি ল্যাব। কোম্পানির আজ ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ১০.৬৭ শতাংশ। একমি ল্যাব ছাড়াও আজ ট্রার্নওভারের শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিএসআরএম লিমিটেড, ডোরিন পাওয়ার, ব্রাক ব্যাংক, আমান ফিড, কাশেম ড্রাইমেলস লিমিটেড।
তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মূলত বাজারে ৫৩০ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব হিসেবে দেখচ্ছে এ্কমি ল্যাবরেটরিজকে। কারণ গত কয়েকদিনের ৩০০ কোটির ঘরের ঘুর পাক থাওয়া বাজারকে মুক্ত করতে একমির অবদানকে ধরছে তারা।
এদিকে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ এর আওতায় পুঁজিবাজারে সর্বপ্রথম বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। এ কোম্পানির আজ অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
নতুন এই আইন অনুযায়ী, আইপিওর মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লকইন কবে উঠছে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভ্রান্তধারণা সৃষ্ঠি হয়েছে।
উল্লেখ্য, একমির প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩ কোটি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নিকট ৫০ লাখ ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে ২ কোটি ৫০ লাখ। লেনদেন শুরুর প্রথম কার্যদিবসে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার লক ইন মুক্ত হয়েছে। বাদবাকি শেয়ারে ৭৫ লাখ শেয়ার আগামী ১৯ জুন লকইন মুক্ত হবে। বাদবাকি শেয়ার আগামী ১৭ সেপ্টম্বর লকইনমুক্ত হবে।
আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইতে লেনেদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা। আর চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারিয় ঢাকার বাজারে লেনদেন হয়েছিলো ৫৭১ কোটি টাকা।
এদিন লেনদেন বাড়লেও কমেছে সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের দুই কার্যদিবস মঙ্গল ও বুধবার সূচকের উত্থান হয়েছে। তবে আগের টানা তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩১৮টি কোম্পানির ৯ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬.৭১ পয়েন্টে কমে ৪ হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫.২৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮.৭০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৯টির। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স ১০.৬৮ পয়েন্টে কমে ৮ হাজার ২৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৪টির। |
0cbc3146-7792-4c97-9afa-d9f3669250df | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেড। আলোচিত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে কোন কারন ছাড়া হঠাৎ এত দর বাড়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনার শেষ নেই। কয়েকজন বিনিয়োগকারী কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ তুলেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি দরপতন থাকলে কারসাজি থেমে নেই। প্রতিদিনই কোন কোন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। দরপতন বাজারে কারসাজি চলছে হরদম ভাবে।
বাজার বিশ্লেষনে জানা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেন ৮২ দশমিক ৪০ পয়সায় শেষ হয়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারটির লেনদেন শেষ হয়েছিল ৬৯ টাকা ১০ পয়সায়। এ হিসেবে সদ্য সমাপ্তা সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে আরও জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৮৬ টাকায় উঠেছিল কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেড কোম্পানির শেয়াররে দর। সপ্তাহজুড়ে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার টাকায় এই কোম্পানির ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ২০০টি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইবনে সিনা। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় কোম্পানিটির ৬ কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০টি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানটির শেয়ারের দর ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। শেষ কার্যদিবসে সর্বশেষ ২৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় শেয়ারটির লেনদেন হয়।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে ছিল এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে ৭ হাজার ইউনিট হাত বদল হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৩৫ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ইউনিটটির দর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শেষ কার্যদিবসে ইউনিটিটির সর্বশেষ লেনদেন হয় ৫ টাকা ৯০ পয়সায়।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিকিউ বলপেন, অরিয়ন ইনফিউশন, আরামিট, মন্নু সিরামিক, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। |
6192f92f-2ee6-4fa6-a9d9-544c1f6735fd | ইসমাত জেরিন খান: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছে। আর তার প্রভাব কিছুটা বাজারের উপরেও দেখা যায়। রমজানের কারণে বাজার কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও পুঁজিবাজারের গতি এ সপ্তাহে বেড়েছে।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজেটে প্রত্যাশা না মেলায় তারা বাজারে লেনদেন কমিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন ধরেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে নিশ্চুপ দেখা যাচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত বাজারে দুটি সূচক সামান্য বৃদ্ধি পেলেও লেনদেন হয়েছে ৩৫৭ কোটি টাকার।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করে ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে স্টক এক্সচেঞ্জ। যা বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে। বাজারকে গতিশীল করতে গণহারে আইপিও দেয়া বন্ধ করার প্রয়োজন। না হলে বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থাহীনতা বাড়তেই থাকবে।
এদিকে পুঁজিবাজারের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডেরিভেটিভস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবে নীতিমালা প্রণয়নে বিএসইসির পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২২ জুনের মধ্যে এই গাইডলাইন প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ডেরিভেটিভস মার্কেটের সঠিক গাইডলাইন আসলে তা যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বাজারের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ডেরিভেটিভ আসলে বাজারে রিস্ক অনেক কমে যাবে।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কম থাকলেও রমজানের কারণে বাজারে লেনদেন অনেক ধীর রয়েছে। এছাড়াও বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা না মেলায় এখনও তার প্রভাব অনেক বেশি। বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্রিয় ভূমিকার সাথে প্রয়োজন সরকারের সহায়ক নীতি যা এবারের বাজেটে প্রতিফলন ঘটে নি।
এদিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে একাউন্টিং ক্লারিটি উন্নয়নের জন্য আইসিএবির এবং ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউটের নৈতিকতা আরো বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিগুলোর একাউন্টিংয়ের স্বচ্ছতা বাড়ানো হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।
কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আইসিএবির আরো গভীর ভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এদের একাউন্টিং প্রক্রিয়াকে আরো জোরদার করার দরকার যাতে করে একটা কোম্পানি সঠিক ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাটাস বিনিয়োগকারীদের বোঝাতে পারে এবং বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির একাউন্সের উপরে আস্থা রাখতে পারে।
পুঁজিবাজারে এমনও অনেক কোম্পানি লেনদেন হচ্ছে যাদের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে চালু হওয়ারও সম্ভাবনা নেই তাদের শেয়ারও বেচা কেনা জোরে শোরে চলছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারী বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি যত বাড়বে বাজার তত স্থিতিশীল হবে।
বিনিয়োগকারীদের উচিৎ গুজবভিত্তিক শেয়ার না কিনে একাউন্টিং ভিত্তিক শেয়ারে লেনদেন করা। তাহলেই বাজারে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এরফলে বাজারও স্থিতিশীল হবে। |
0d7cc5c5-7e5b-4091-8c2b-dee66862bd9d | প্রশান্ত কুন্ডু শুভ, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৩২ লাখ ১৮ হাজার বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৯১ হাজার। বাকি ১৬ লাখ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৪ লাখ ৮৪ অ্যাকাউন্টে কখনই শেয়ার ছিল না। ১১ লাখ ২৫ হাজার অ্যাকাউন্ট বর্তমানে শূন্য।
এসব বিও অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকেই শুধু আইপিওতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) আবেদন করছেন। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে বহুবিতর্কিত অমনিবাস অ্যাকাউন্ট এখনও বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এখনও বাজারে ৩৫০টি অমনিবাস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ইলেট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে, সারা দেশে ৩২ লাখ বিও অ্যাকাউন্টের মধ্যে ঢাকাতে ২৫ লাখ এবং ঢাকার বাইরে ৭ লাখ। কিন্তু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮টি সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এগুলোতে শেয়ার আছে এবং এগুলো থেকে নিয়মিত লেনদেন হয়। এছাড়া ১১ লাখ ২৫ হাজার বিও ২৩৩টি অ্যাকাউন্টে কখনো কখনো শেয়ার থাকলেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে তা শূন্য হয়ে যায়।
৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০১টি বিও অ্যাকাউন্টে কখনোই কোনো শেয়ার ছিল না। এসব বিও অ্যাকাউন্ট সাধারণত আইপিওর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লটারিতে কোনো শেয়ার বরাদ্দ পায়নি বলে এসব অ্যাকাউন্টে কোনো শেয়ার নেই বলে জানা যায়। অন্যদিকে ঢাকাতে বিও অ্যাকাউন্টের জন্য মেশিন রিডেবল হিসাব ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ঢাকাতে ২৫ লাখ অ্যাকাউন্টের মধ্যে বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে মেশিন রিডেবল হিসেব নেই।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে আইপিও আবেদনের জন্য নামে-বেনামে প্রচুর বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। একই ব্যক্তি এক থেকে দেড়শ’ পর্যন্ত বিও অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে। আর এসব বিওতে শুধু আইপিও আবেদন করা হয়। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। কিন্তু ২০১০ সাল শেষে তা ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আর এই প্রবণতা রোধে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রবণতা কমে আসে।
বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৫০০ টাকা লাগে। এরমধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়।
আর এ খাত থেকে গত বছর সরকারকে ৮১ কোটি টাকা দিয়েছে বিএসইসি। প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে এই ফি সিডিবিএলে জমা দিতে হয়। এরপরই নবায়ন ফি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অ্যাকাউন্টগুলোর বন্ধ করা শুরু হয়। জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন বাজারে স্বচ্ছতা আনতে ইতিমধ্যে অমনিবাস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এখন বিও অ্যাকাউন্ট স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সময়। বিনিয়োগকারীরা মৌলভিত্তি দেখে বিভিন্ন কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে অনেক লাভবান হবেন। কারণ যে কোনো সময়ের চেয়ে বাজার এখন অব মূল্যায়িত। তবে মুশকিল হল বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা হুজগে মাতে। তারমতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এ সমস্যা রয়েছে। |
32b3e63a-8b90-40bf-908c-acf6eac247c7 | বিশেষ প্রতিনিধি, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে সরকারের বক্তব্য নামমাত্র আইওয়াশ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করে আজও পায়নি। ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে আজও প্রাপ্তির মিল নেই। সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগর কথা বলা হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন বিনিয়োগকারীরা দেখতে পারছে না।
এছাড়া পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নানা কথা বলা হলেও এর কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে লেনদেন, সূচক বা বাজার মূলধন সবদিক থেকে প্রতিদিনই শোচনীয় অবস্থায় চলে যাচ্ছে বাজার। আর একের পর এক ধারাবাহিক দরপতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন শেয়ার বিনিয়োগকারীরা।
২০১০ সালের ভয়াবহ ধসে কয়েক লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। ব্রোকারেজ হাউস ছেড়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন তারা। বিক্ষোভ করতে এসে হামলা ও মামলার শিকার হন এসব বিনিয়োগকারী। তবে পরবর্তী সময়ে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাজার।
এই দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার বাজার পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও সেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী হয়নি। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বারবার প্রতারিত হচ্ছেন। প্রথম ধসের প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বাজার যে তলানিতে ছিল সেখানেই পড়ে রয়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিশেষ কোনো প্রণোদনা না দিয়েই পুঁজিবাজার জেগে উঠার স্বপ্ন দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সম্পূরক বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের শেয়ারবাজার এখন নিয়ম মাফিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে ফটকাবাজির (কারসাজিমূলক লেনদেন) অবসান এবং নির্মূল হয়েছে। এ কারণে শেয়ারবাজার এবার জেগে উঠবে।
বিনিয়োগকারী আরিফ হাসান বলেন, ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসে বিনিয়োগ করা পুঁজি সব হারিয়ে ছিলাম। গত বছর আবার শেয়ারবাজারে বিরিয়োগ করেছি। কিন্তু এক বছর অব্যাহত দরপতন চলছে। এতে আবারও পুঁজি হারিয়ে পথে বসছি আমরা।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার ওঠানামা করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এক দিন ওঠে তিনদিন পড়বে এটা কোনো বাজার হতে পারে না। কারসাজি চক্র ঠিকই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা চেয়ে চেয়ে দেখছে। সরকারও কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। প্রস্তাবিত বাজেটেও শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী আশার বাণী ছাড়া কিছু দিলেন না বিনিয়োগকারীদের।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, ২০১০ সালে ধসপরবর্তী সময়ে সরকার নানা প্রণোদনা দেয় পুঁজিবাজারে। এর ফলশ্রুতিতে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। প্রতিবছর বাজেটে শেয়ারবাজারের ওপর বিশেষ সুবিধা থাকলেও এবার তা নেই। এতেও হতাশ হয়েছে অনেকে। এ কারণে বাজেট পরবর্তী সময়ে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে।
তাছাড়া স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বললেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এতে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বাজারে লেনদেন, সূচক, বাজার মূলধন সব কিছুতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে বাজার তলানির দিকে যাবে বলে মনে করছেন তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (১২ জুন) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮০ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৪২৩ কোটি ৬১ লাখ ১ হাজার ১০০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৩২২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৪৬ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫০২ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৩৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৪৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগরে সপ্তাহের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরিয়া সূচক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮০ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৮ কমে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির আর লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৫০ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৪ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৪৮ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং শরিয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। |
cff51afe-7534-411f-9cfa-d251e882a591 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে কারসাজি, কর ফাঁকি ও মুদ্রা পাচারের অপরাধে ১১২ কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)।
বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে এ ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে গত ২৯ মার্চ ২৪৬ কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করে সেবি। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ১১২ কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
সংস্থাটি জানায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিগুলো ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে বাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে। যদিও এদের কোনোটিরই বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। সেবি আরও বলেছে, অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের বোকা বানিয়েছে কোম্পানিগুলো। ফলে এদের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই ভারতের কৈলাস অটো গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে জড়িত। সংস্থার স্থায়ী সদস্য রাজিব কুমার আগারওয়াল বলেছেন, এ ধরনের জালিয়াতি বাজারের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে চরম আঘাত হেনেছে। |
2ca79eeb-c23d-46e0-987f-6e6b137abbd7 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সন্ত্রাসবাদের অব্যাহত আতঙ্কে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের বড় বড় এয়ারলাইনস কোম্পানি। এই আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অরল্যান্ডো হামলা। ডেল্টা, জেট ব্লু, আমেরিকান এবং অন্য বড় বড় এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর শেয়ার এখন নিম্নমুখী।
গত কয়েক বছরে তেলের দাম হ্রাস এবং ব্যবসা ও ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ ভালো অবস্থানে ছিলো কোম্পানিগুলো। সেসময় ওয়াল স্ট্রিটে দাপটের সাথে ব্যবসা করেছে কোম্পানিগুলো।
সিএনএনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তেলের দামের সাথে সাথে বিমানভাড়াও বাড়ছে। জেট ব্লু সম্প্রতি জানিয়েছে, বছরের বাকি সময়ে তারা যাত্রী পরিবহন কমিয়ে দেবে। জিকা ভাইরাসের আতঙ্কে এরই মধ্যে মন্দার শিকার কোম্পানিটি।
কারণ, তেলের দাম বৃদ্ধি ছাড়াও জিকা ভাইরাস ও সন্ত্রাস আতঙ্কে অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে গত সপ্তাহে প্রায় সব এয়ারলাইনস কোম্পানির শেয়ার দরপতনের শিকার হয়। অরল্যান্ডোর পালস নাইটক্লাবে হামলার খবরে ধস নামে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে। অরল্যান্ডোকে মনে করা হয় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। ফলে ভ্রমণপিপাসুদের খরায় পড়ে এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো।
চলতি বছরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ওয়াল স্ট্রিটে দরপতনের শীর্ষে আছে আমেরিকান এয়ারলাইনস। এ সময়ে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩১ শতাংশ। ইউনাইটেড এয়ার ২৭ শতাংশ, ডেল্টা ২৫ শতাংশ, জেট ব্লু ২৮ শতাংশ, আলাস্কা এয়ার ২৫ শতাংশ এবং সাউথওয়েস্টের শেয়ার কমেছে ৮ শতাংশ।
শুধু ইউএস এয়ারলাইনসের সাশ্রয়ী সেবাদাতা কোম্পানিগুলো কিছুটা ভালো অবস্থানে। এদের মধ্যে স্পিরিট-এর দর বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ভারজিন আমেরিকার দর বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। ইউরোপের বৃহৎ এয়ারলাইনস কোম্পানি রায়ানএয়ার, লুফথানসা, এশিয়া অঞ্চলের ক্যাথে প্যাসিফিক, চায়না সাউদান-এর দর কমেছে ১০ শতাংশ।
এয়ারলাইনস কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী এবং এর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য হতাশার হলেও যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে এই সাম্প্রতিক দরপতন। কারণ, অধিকাংশ কোম্পানিই তাদের বিমান ভাড়ার পরিমাণ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। এর বাইরে বিমান সেবায় আনুষঙ্গিক খরচও কমে গেছে। |
790d0458-bc71-4c1e-9ee8-6bafc8982732 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পোশাক রপ্তানিতে দেড় শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করছে বিজিএমইএসহ এ খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎসে কর বিক্রির উপর কর্তন করা হয়; লাভের উপর নয়। একটি কারখানা শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরিশোধ, পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করার পর মাত্র ৩ শতাংশ মুনাফা করে থাকে।
সেই কারখানাটির জন্য ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধ করা খুবই কঠিন। ৩ শতাংশ মুনাফা হলে এর উপর প্রদেয় করহার দাঁড়াচ্ছে ৫০ শতাংশ। এই কর হার ব্যাংক, বীমাসহ যে কোনও শিল্প কিংবা সেবাখাতের উপর প্রযোজ্য কর হারের তুলনায়ও অনেক বেশি বলে তার অভিমত।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাকের রপ্তানিমূল্য অনেক কমে গেছে। বেড়েছে উৎপাদন খরচ। অন্যদিকে ডলার-ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যেই আমাদের রিস্ক ফ্যাক্টর বেড়ে গেছে ৩০ থেওকে ৩৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে উৎসে কর ১ দশমিক ৫০ প্রয়োগ করা হলে আমাদের নিট ও ওভেন পোশাক খাতের অধিকাংশ কারখানা ব্যবসায় টিকে থাকতে পারেবে না। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, বস্ত্রখাতের রপ্তানিমুখী স্পিনিং ও উইভিং খাতের মিল এবং পোশাক কারখানাগুলো ব্রেক ইভেন পয়েন্টে অর্থাৎ না লাভ না লোকসান- এভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটার পর অনেক প্রতিষ্ঠানের কোনও লাভই থাকবে না। কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুণতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে উৎসে কর ১ দশমিক ৫০ হারে কর্তন করার সিদ্ধান্ত রপ্তানিমূখী শিল্প ও বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের চরমভাবে নিরুৎসাহিত করবে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে তৈরি পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এর পর থেকেই বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ পোশাক খাতের অন্যান্য সংগঠন প্রস্তাবিত বর্ধিত কর হার প্রত্যহার করে আগের অবস্থায় আনার দাবি জানিয়ে আসছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে শীর্ষ পাঁচ সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ ও বিজিএপিএমইএ) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ সংগঠনের পক্ষে সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত ৩৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ রয়েছে। এ অবস্থায় যে খাতগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে সেগুলোর পথ সহজতর করে উৎসাহ প্রদান করাই বাঞ্ছনীয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আমরা যে দশটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম তার একটিও বাজেটে গৃহীত হয়নি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত সংকটময় পরিস্থিতে রয়েছে।
এফবিসিসিআই প্রথম সহ-সভাপতি এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত না যাতে বিনিয়োগ কমে যায়। বরং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা উচিত। পোশাক শিল্পের উপযোগী বাজেট দেওয়া উচিত। এ শিল্পের সঙ্গে দেশের ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি, বিটিএমএ সহ সভাপতি ফজলুল হক, বিটিটিএলএমইএ চেয়ারম্যান হোসেন মেহমুদ, বিজিএপিএমইএ সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনিসহ বিজিএমইএ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। |
d1aadb6d-9fe6-44d9-8e11-69d211888336 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আইপিও অনুমোদন পাওয়া বস্ত্রখাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। আজ রোববার ডিএসইর বোর্ড সভায় কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানিটিকে অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬২ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭ টাকা ৬২ পয়সা।
ডিএসইতে তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজারে ইভিন্স গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি হবে এটি। এর আগে ২০১৩ সালে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এই গ্রুপের আর্গন ডেনিমস লিমিটেড। |
e146d4c1-0b77-4384-aadb-a4f480ddbfa4 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটির রোববার সর্বশেষ লেনদেন হয় ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা দরে। এদিন কোম্পানিটি ডিএসইতে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন শুরু করে। কোম্পানিটি ৮৩৬ বারে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৫টি শেয়ার লেনদেন করে।
গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রোববার শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এদিন শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৭ টাকা দরে। কোম্পানিটি ১ হাজার ৩১১ বারে ২৪ লাখ ৫৪ হাজার শেয়ার লেনদেন করে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড। রোববার শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩৭ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গেইনার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, কাশেম ড্রাইসেলস, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারইস্ট নিটিং, বেঙ্গল উইন্ডসর, বিবিএস ও এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড। |
4c168d60-7f5b-4eeb-a8ca-e8651b19c891 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালি ব্যাংকের শেয়ারে। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৪.০৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে রবিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রূপালি ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৮.৫ টাকা। রবিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৫ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ২৪.২ টাকা থেকে ২৫.৩ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.৮৪ শতাংশ, জাহিনটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজের ৫.৪৫ শতাংশ, ঝিল বাংলা সুগার মিলসের ৪.৬০ শতাংশ, অষ্টম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪.১৭ শতাংশ,
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪.০৮ শতাংশ, বিআইএফসি’র ৩.৮০ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৩.৫৪ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৩.৩৭ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৩.২৮ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
f1359ed9-7bd9-4be9-9903-d941ba34428d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ার ছেড়ে মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১ রাইট ছাড়বে কোম্পানিটি। যার ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০টাকা।
আর এ বিষয়ে সাধারণ শেয়ার হোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিবে আইএফআইসি ব্যাংক। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর রাইট সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। |
c14ccc82-84ad-417f-81dc-7f0243520db2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।
সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার ন্যাশনাল ফিড মিলসের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২০ টাকা। মঙ্গলবার দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ২০.৪ টাকা থেকে ২২ টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— এপেক্স স্পিনিং এর ৯.৯১ শতাংশ, ড্রাগণ সোয়েটারের ৯.২৬ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ৮.০৪ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৭.৬৩ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিকসের ৭.১৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৫.৮১ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ৫.৭৭ শতাংশ, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৫.৬৬ শতাংশ, তুং হাই নিটিং এর ৫.০৫ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
e3ffd883-9025-4a99-aba8-a412ef4bb849 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারের। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৯.৮৩ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৩৫.৬ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.১ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৩২.১ টাকা থেকে ৩৫.৬ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের ৯.৬৩ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪.৫৫ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৪.৫৫ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪.২৪ শতাংশ,
এএফসি এগ্রো বায়েটেকের ৩.১৫ শতাংশ, সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.১১ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৩.০১ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এর ২.৯৮ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ২.৯২ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
795915af-b894-4876-809f-70838df360d2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের কো্ম্পানি বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামকে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির ৫৭৮তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৮০ টাকা সংগ্রহ করা হবে। যা দিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আংশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে।
রাইট শেয়ার ডকুমেন্ট অনুযায়ি, ২০১৫ সালের ৩০ জুনে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িয়েছে ৪৭.৯৪ টাকা। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন (ছয় মাসে) সময়ে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারে আয় (ইপিএস) করেছে ১.০৩ টাকা। উল্লেখ্য কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে। |
2e7ffcdd-cf59-48fc-a05e-605d0a8a6b6f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব সূচক কমে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম। এদিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট এবং সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
তবে এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮ লাখ টাকা। আর সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮৪ লাখ টাকা। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫ পয়েন্টে এবং ২ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৩৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ন্যাশনাল ফিড, একমি ল্যাবরেটরিজ, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ইবনেসিনা, আমান ফিড, স্কয়ার ফার্মা এবং হামিদ ফেব্রিক্স।
অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ৮৪ লাখ টাকার বেশি।
আজ সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১১ দশমিক ০৯ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ৯৯১ পয়েন্টে ও সিএসই-৩০ সূচক ৪২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১০০টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- একমি ল্যাবরেটরিজ, ন্যাশনাল ফিড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ড্রাগন সোয়েটার, ডোরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, রিজেন্ট টেক্সটাইল এবং গ্রামীণ ফোন। |
9d082061-6490-446b-baf6-09c456874a98 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের কান্না শুনবে কে। এ প্রশ্ন এখন খোদ সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারন আর কত দরপতন । দরপতন সয্য করতে করতে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ ছয় বছর অিতিক্রম করছে। এদিকে প্রতিনিয়ত দরপতন হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজারে। ফলে, অস্থির হয়ে পড়ছে বাজার।
টানা পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত কয়েক সপ্তাহের দরপতনের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সব ধরনের সূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। তবে সামান্য বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বাজারের গতি ফেরাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিলেও স্বল্পমেয়াদী কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে বর্তমানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর নিস্ক্রিয়। পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তারা বলছেন, বাজারে যে পরিমাণ শেয়ার বেড়েছে সেই হারে বিনিয়োগকারী বাড়েনি। ফলে, বাজারের সার্বিক লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এ অবস্থার উন্নতি চাইলে যেসব কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি খুবই মজবুত অবস্থানে আছে বাজারে তাদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে বাজার স্থিতিশীলতায় সকারের পাশাপাশ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়াও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। যা আগের দিনের চেয়ে ৭ কোটি টাকা কম। রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩২১ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩২০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮টির শেয়ার দর।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৪৬ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯৯২ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসআই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে ৯৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে টাকা অংকে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের। এর মধ্যে বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ১৪১ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর। |
8ff64856-0c7b-40a7-a5e4-aca3fe1c5e2e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়ে গ্রাহকের দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৭টি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে। বীমা কোম্পানিগুলো হল- পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, জীবন বীমা করপোরেশন,
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, গোল্ডেন লাইফ, সন্ধানী লাইফ, প্রগতি লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ, সান লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, মেঘনা লাইফ, ডেল্টা লাইফ, রূপালী লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, বায়রা লাইফ ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স।
দুর্নীতি অনুসন্ধানে এরই দুদকের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে দুই সদস্যের টিম গঠন করেছে কমিশন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রণব জানান, দুদকের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে অবৈধভাবে এই কোম্পানিগুলো ব্যয় করেছে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যার শতকরা ৯০ ভাগ টাকা গ্রাহকের। এই ১৭টি কোম্পানির মধ্যে সাতটি অবৈধ ব্যয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
এগুলো হল- পপুলার লাইফ (২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা), জীবন বীমা করপোরেশন (২৮৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা), ফারইস্ট ইসলামী লাইফ (২০০ কোটি ৫১ লাখ টাকা), পদ্মা ইসলামী লাইফ (১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা), গোল্ডেন লাইফ (১৬৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা), সন্ধানী লাইফ (১৫৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা) এবং প্রগতি লাইফ (১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)।
প্রণব বলেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানিগুলোর দাখিল করা তথ্যে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এই অনুসন্ধানের তদারকের দায়িত্ব পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। |
bc3c91e0-8724-4706-a39e-14393f5a2c93 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে এসব কি হচ্ছে। কোন কারন ছাড়াই এ কোম্পানির শেয়ারের দর টানা বাড়ছে। তাই এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির আশঙ্কা করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। কারন কোন কারন ছাড়াই হু হু করে বাড়ছে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের শেয়ার দর।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের শেয়ারদর ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। মুনাফা করায় কোম্পানির শেয়ার দর হাওয়ায় ভাসছে। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারও ১০ শতাংশ বেড়ে দর দাঁড়িয়েছে ২২ টাকায়। এর আগে সোমবার দরবৃদ্ধির তালিকায় এক নম্বরে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানিটি। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। দিন শেষে লেনদেন তালিকায় ৯ নম্বরে জায়গা করে নেয় ন্যাশনাল ফিড মিল।
একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি চলছে। বলা যায় বাজারে এক প্রকার লুট চলছে। যেখানে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারের দর বাড়ছে না, সেখানে দুর্ল কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছেই। এর মধ্যে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের শেয়ারের দর কোন কারন ছাড়াই বাড়ছে। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, টানা নিম্নমুখী প্রবণতার পর প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী আছে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারদর। সোমবার সর্বশেষ ২০ টাকা ২০ পয়সায় কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ২০ পয়সা। মঙ্গলবার সকালে শেয়ার লেনদেন ২০.৪০ টাকায় শেয়ার লেনদেন হলেও তা ঊর্ধমূখী অবস্থানে রয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ন্যাশনাল ফিড মিল। বছর শেষে এর কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৭৭ পয়সা। ২০১৩ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৯২ পয়সা।
গবাদি ও গৃহপালিত পশু, মাছ ও হাঁস-মুরগির খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি ২০১৪ সালের শেষ দিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) ১৮ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করে। অভিহিত মূল্যে আইপিওতে আসা এ কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
রিজার্ভ ১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২০ দশমিক ৩৪ ও বাকি ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৭ দশমিক ২৪; হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১৪ দশমিক ৮৫। |
ba6cb436-4895-4d1b-a62f-eb60a70e984a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি বিডি থাই রাইট শেয়ারের নামে এসব কি করছে। বিনিয়োগিকারীদের পকেট কাটছে এখন বিডি থাই। এতদিন কিছু কোম্পানি আমাদের বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবেছে। পড়তি বাজারে তারা এখন আর আমাদের কথা ভাবে না। এখন যে যার। যে জন্য রাইট দিয়ে বিডি থাই পকেট কাটার ব্যবস্থা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামের (বিডি থাই) একজন বিনিয়োগকারী। তার ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি দিতে গিয়ে কারওয়ানবাজারে তিনি এসব কথা আক্ষেপ করে বলেন।
তিনি বলেন, কোম্পানির শেয়ারের পরিমাণ হলো ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি। এখন ১:১ হারে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট শেয়ার দিলে হবে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি শেয়ার। আজ (বুধবার) শেয়ারের দর চলছে ৩২ টাকা। আগামী কাল যখন মোট শেয়ার হবে ১০ কোটি ৪৬ লাখ, তখন তার দরও হবে অর্ধেক।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে তিনি বলেন, এখন বিডি থাইয়ের কমবে ইপিএস। কমবে লভ্যাংশ প্রদানের পরিমাণ। শুধু বাড়বে বোনাস শেয়ার প্রদানের হার। এটা কোন বিনিয়োগকারীর জন্যই শুভ নয়। এটা ঝড় আমার আগের সংকেত। তার কারণ স্পষ্ট, কোম্পানির স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কম করছে। এখন তারা সব চাঁপিয়ে দিচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ঘাড়ে। এই কোম্পানির আগামী নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বলেন তিনি
বুধবার শেয়ার হস্তান্তরের চিত্র প্রকাশ
প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম (বিডি থাই) ১:১ হারে রাইট শেয়ার ছাড়বে। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) অনুমোদন দিয়েছে। রাইটের অনুমোদন দেয়ার পরই শেয়ার দরে নিম্নগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কোম্পানির অন্যান্য তথ্য চিত্র
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামের (বিডি থাই) শেয়ার দর গত এক সপ্তাহে ডিএসইতে ঝড়ের মতো বেড়ে নিচে নেমেছে। গত সপ্তাহে শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৩৬ টাকা, রাইট ঘোষণার পরই তা কমতে থাকে। অন্যদিকে বাড়তে থাকে শেয়ার হস্তান্তরের পরিমাণ। বুধবার শেয়ার লেনদেন ৩২ টাকায় শুরু হলেও দুপুরে তা আরো কমে হয়েছে ৩১.৬০ টাকা। বেড়েছে শেয়ার হস্তান্তরের পরিমাণ।
শেয়ার দর নামার চিত্র
কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোম্পানির মোট শেয়ারের পরিমাণ ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি। ১:১ হারে বিএসইসি রাইট শেয়ারের অনুমোদন দেয়ায় শেয়ারের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। এতে কোম্পানির কোম্পানি ইপিএস কম এবং লভ্যাংশ প্রদানের পরিমাণ অনেক কমার আশঙ্কা রয়েছে।
উদ্যোক্তাদের শেয়ার ধারণের চিত্র
আরো দেখা গেছে, কোম্পানি উদ্যোক্তা শেয়ার ধারণের পরিমাণ তুলনামূলক কম। মাত্র ৩০.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক ও ফরেন শেয়ারধারীদের সংখ্যাও অনেক কম। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ সর্বোচ্চ হওয়ার আশঙ্কার পরিমাণ বাড়ছে। যে কারণে শেয়ার দরে ভারসাম্য রক্ষার কবচ না থাকায় ঝড়ের বেগে পড়ছে দর এবং বাড়ছে শেয়ার হস্তান্তরের পরিমাণও।
বিএসইসি সূত্রে জানায়, প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট ছাড়বে বিডি থাই। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি রাইট শেয়ারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৮০ টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। উত্তোলিত এ অর্থ কোম্পানিটি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আংশিক ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।
রাইট শেয়ারের ডকুমেন্ট অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩০ জুন সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৪৭ টাকা ৯৪ পয়সা। আর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা শূন্য ৩ পয়সা। কোম্পানিটির রাইট সংক্রান্ত ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। |
739ae06a-decb-4ebf-a6d4-3b6bd6be17f9 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসিআই মোটরস লিমিটেডের সাথে ইন্ডিয়া ইয়ামাহা মোটরস প্রাইভেট লিমিটেডের একটি চুক্তি সই হয়েছে। আগামী আগস্টে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করবে।
বুধবার এসিআই সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসা শুরুর কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. এফএইচ আনসারী। আনসারী বলেন, আগামী আগস্ট মাস থেকে আমরা ইয়ামাহার মোটর সাইকেল বাজারজাত করতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়ে সব ধরনের প্রস্ততি শেষ হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিলার ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এ ব্যবসা পরিচালনা করা হবে। ক্রেতা পর্যায়ে সহজে ইয়ামাহা সার্ভিস ও জেনুইন স্পেয়ার পার্টস ও সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর এসিআই মোটরস লিমিটেড। এ জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে।
আনসারী আরও বলেন, এসিআই শিগগিরই ক্রেতা পর্যায়ে এ পণ্যের ব্যবহারিক সুবিধাসমূহ জানানোর জন্য কার্যক্রম শুরু করবে। ইয়ামাহার অভিজ্ঞ সহায়তার মাধ্যমে কোম্পানিটি বাংলাদেশি ক্রেতাদের মাধ্যমে পছন্দের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় বিজনেস পরিচালক সূব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে যে পরিমাণ মটর সাইকেল বিক্রি হয়েছে তার ১০ শতাংশই ছিল ইয়ামাহার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রিমিয়ার ভার্সন-২ মোটরসাইকেল বাজারজাত করা হবে। ১০০ সিসি হতে ১৫৫ সিসি পর্যন্ত সকল শ্রেণির মটরসাইকেল বিপণন করার পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেনারেল ম্যানেজার আসিফ উদ্দিন, অ্যাসিসটেন্ট প্রডাক্টশন ম্যানেজার রাজিব নূরসহ প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, আগামী তিন বছরের জন্য এসিআই মোটরস বাংলাদেশে ইয়ামাহা ব্রান্ডের মোটরসাইকেল ও এর যন্ত্রাংশ বিক্রয় এবং বিতরণ করবে। কোম্পানিটি ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জন্য বিক্রয় টার্গেট ধরেছে যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা, ২৪৪ কোটি টাকা ও ৩৪০ কোটি টাকা। এসিআই লিমিটেডের ৬৬ দশমিক ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে এসিআই মোটরসে। |
88bb8d0a-0247-4318-b36b-54c7617c383b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসই’তে ভ্যানগার্ড এএমএল ফান্ডের ইউনিট দর ৮.৭০ শতাংশ বা ০.৮০ টাকা বেড়ে গেইনারের শীর্ষে অবস্থান করে। সারাদিনে ফান্ডটির মোট ৫ হাজার ইউনিট ৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। আজ এর দর ১০ টাকায় অপরিবর্তীত থাকে। গত এক বছরে এ ফান্ডের দর সর্বনিম্ন ছিল ৮.৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দর ছিল ১৮ টাকা।
ডিএসই’তে টপটেন গেইনারের শীর্ষে থাকা অন্যান্যের মধ্যে আইসিবি’র দর বেড়েছে ৬.৫৬ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়ার ফান্ডের ৬.৫২ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৫.৭৪ শতাংশ, তশরিফা ইন্ডাসট্রিজের ৫.৬৫ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ৫.৪১ শতাংশ,
এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫.৩৬ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ৫.১৪ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ৫.১০ শতাংশ এবং খান ব্রার্দাসের শেয়ারদর বেড়েছে ৪.৯১ শতাংশ। |
ff35a6e5-cccf-459a-9830-8b69a48e0606 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইসবচেয়ে বেশি দর কমেছে দুলামিয়া কটনের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। বুধবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার দুলামিয়া কটনের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৬.৮ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৪ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৬.৪ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—সালভো কেমিক্যালের ৩.২৮ শতাংশ, প্রাইম ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩.২১ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং এর ২.৬৭ শতাংশ, মন্নু জুট স্টাফলার্সের ২.৫৮ শতাংশ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ২.৫৮ শতাংশ,
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিষ্টেমের ২.৪৫ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকসের ২.৪৪ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিং এর ২.৪৪ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২.৯২ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
e628944e-d348-4e4a-9820-bfe96d277a98 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের উর্ধমুখী প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। হয়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স ১৫.২১ পয়েন্ট ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স ১৫.৯৮ পয়েন্ট বেড়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে ৩১১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ বুধবার ছিল ৩২৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১২৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
বৃহস্পতিবার টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে অলিম্পিক এক্সেসরিজের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি ল্যাবরেটরিজের ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে—তসরিফা ইন্ডাষ্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ড্রাগন সোয়েটার, ইবনে সিনা, স্কয়ার ফার্মা, আমান ফিড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৯টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৯১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের দিন ছিল ১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। |
fc190afd-6812-4f52-a364-50b7d092fdfb | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে লুটপাট ও শেয়ারবাজার ধসের ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ চেয়েছেন জাতীয় পার্টির সাংসদ সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এ দাবি করেন।
জিয়াউদ্দিন বাবলু ব্যাংকিং খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংক খাতে এখন ক্যানসার অবস্থা বিরাজ করছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলছেন সাগর চুরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গভর্নর নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন।
তাহলে ব্যাংকিং খাতে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলো, শেয়ারবাজার ধসের ঘটনায় সাধারণ মানুষ পথে বসল, তার দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন না কেন? দেশের প্রথম শ্রেণির একটি দৈনিকে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বাবলু বলেন, ‘আপনি স্বীকার করেছেন, ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের মহোৎসব হয়েছে। তাহলে আপনার নৈতিক দায়িত্ব নেই? এত বড় দুর্নীতির পর আপনার এ পদে থাকার অধিকার নেই। আপনি পদত্যাগ করেন।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এক লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ অবলোপন করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রাখা হয়েছে। এগুলো কেন বেসরকারি করা হচ্ছে না। তিনি সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারীকরণের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনায় অনেক সাধারণ মানুষ আত্মহত্যা করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন শক্তিশালী করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তিনি শিক্ষার মান পড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। |
88b9f46b-f82c-4ddc-9439-a132a772ad03 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তিন ব্যাংকের শেয়ারের দর উল্টা রথে চলছে। ফলে এসব কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুঁজিবাজারে ব্যাংকিং খাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩০টি ব্যাংক। তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকের শেয়ার দরে পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার শেয়ার দরে স্থিতি অবস্থায় রয়েছে ৭টি ব্যাংক।
তবে এই ৭টি ব্যাংকের শেয়ার দরে কোন পরিবর্তন না হলেও ৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর হয়েছে আনলাকী টেন। প্রত্যোকটির শেয়ার দর কমেছে ১০ শতাংশ করে।
ব্যাংক তিনটি হলো- সাউথইস্ট ব্যাংক, শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক। বৃহস্পতিবারের আনলাকী ঢাকা ব্যাংকের বুধবার দর ছিল ১৪.১০ টাকা। বৃহস্পতিবার ১০ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪ টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংকের দর ১০ শতাংশ কমে ১০.৮০ টাকা এবং শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ১০ শতাংশ কমে ১০.৮০ টাকায় দিনের লেনদেন সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে, ৩০ টি ব্যাংকের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দরে উত্থান দেখা গেছে। কারণ, ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের মুনাফা এক বছর আগের তুলনায় বেড়েছে।
তালিকাভুক্ত ৩০টির মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯টি ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২০টি ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯টি ব্যাংকের মুনাফা। |
c110dd53-b1e6-4107-ac6e-743ee79920f1 | চট্রগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট। মুছাকে মঙ্গলবার সকালে চকবাজার এলাকা থেকে ও একইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাখালী গুলবাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছে এদের পরিবার।
পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এরা দু’জনই এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। বাবুল আক্তারের বসবাস ও পরিবার সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা রয়েছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অর্থাৎ ভাড়াটে খুনি হিসেবে তারা মিতুকে হত্যা করেছে।
এজন্যই তাদের আটক করা হয়। শিগগিরই তাদেও গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা ভোলা ও মুছাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদের হত্যায় যুক্ত থাকার বিষয়ে সরাসরি কোনো কিছু না বললেও কর্মকর্তারা বলছেন, মিতু হত্যা তদন্ত নিয়ে শিগগিরই তারা ‘সুসংবাদ’দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোলা একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। এখন তিনি ৩৫ নম্বর বকশিরহাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। আবু মুছা দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী। অনেক সময় ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করেন। তার বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার রানীহাট এলাকায়। এসপি বাবুল আক্তারের হাতে একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে দু’জনই বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করছেন। পুলিশের ওই বিশ্বস্ত সূত্র আরও জানিয়েছে, ভোলা ও মুছাকে নগরীর বন্দর থানায় রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মিতুকে যে স্থানে হত্যা করা হয় সেই জিইসি মোড়ে বসানো টাওয়ারের অধীনে যেসব মোবাইল ফোন থেকে কল ইনকামিং-আউটিগোয়িং হয়েছে তা ঘেঁটেও মুছা ও ভোলার ফোন ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে মুছা ও ভোলার যোগসাজশ এবং ঘটনার সঙ্গে নানা কারণে তাদের সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় নিচ্ছে পুলিশ।
এর মধ্যে মুছাকেই এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে দাবি করছে পুলিশের একাধিক সূত্র। তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িত অন্যদেরও ধরার জন্য পুলিশ আটক দু’জনের ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
ভোলার পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ভোলার মোবাইলে ফোন আসে। ওই প্রান্তে কি বলছেন তা না শুনলেও এ প্রান্ত থেকে ভোলা বলছিলেন, আজকে আমার তারাবিহ শেষ হবে (খতম তারাবিহ), আমি রাতে কোথাও যেতে পারব না। এরপর সে রাজাখালীর বাসা থেকে বের হয়। বাসা থেকে বের হয়ে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন গুলবাহার কমিউনিটি সেন্টারের পাশে গেলে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর রাতে বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তা নেয়নি পুলিশ। পরে তারা সিএমপি সদর দফতর লালদীঘির পাড়ে ডিবি অফিসে যান। ভোলার স্ত্রী ও ভোলার বড় বোন রাবেয়া বসরী বকুল সারারাত ডিবি অফিসে কাটিয়ে দেন।
বুধবার সকালে সিএমপি পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহারের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে না পেয়ে তারা ফিরে যান। পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ভোলাকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে তারা বন্দর থানায় খোঁজ নিতে গেলেও ভোলার সঙ্গে দেখা করতে ব্যর্থ হন।
বাকলিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, ভোলার বোন ও স্ত্রী থানায় খোঁজ নেয়ার জন্য আসছিলেন ভোলাকে গ্রেফতার হয়েছে শুনে। তবে তার কাছে এমন কোনো তথ্য না থাকায় তিনি তাদের ফিরিয়ে দেন।
মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা তা এখনও বলার সময় আসেনি।’ অন্যদিকে সিটি এসবির ডিসি মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, ভোলা কিংবা মুছা নামে কাউকে তারা আটক করেনি। এ সম্পর্কিত কোনো তথ্যও নেই তাদের কাছে। সুত্র: যুগান্তর |
8cfd694a-5275-485d-a349-d23c7498dc98 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জাহাঙ্গীর টাওয়ারের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জন। পরে দমকলকর্মীরা গিয়ে লিফট কেটে তাদের উদ্ধার করে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে নামার সময় লিফটে আটকা পড়েছিলেন তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লিফট কেটে তাদের উদ্ধার করেন।
দুই প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও এ সময় একুশের রাত টকশোর উপস্থাপক অঞ্জন রায়, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও), পলকের দু’জন এপিএস, জাহাঙ্গীর নামের একজন সুপারভাইজার, প্রযোজক ফারুক এবং কৃষিবিদ দেবু ভট্টাচার্য লিফটের ভেতর ছিলেন। জানা গেছে, ওই সময় লিফটের ম্যাগনেট ফেল করেছিল। এতে ৭তলা থেকে নিচে নেমে বের হতে পারছিলেন না তারা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার ভোজন সরকার জানান, ভবনের কর্মীরা অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আটকা পড়াদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। |
bd6cd2b0-b759-495f-88ff-ee8674f0f523 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্য সূচক। তবে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি ব্যাপক উঠানামার মধ্যে ছিল। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন ৩ শত কোটি গড়ে ছিল। লেনদেন সাধারনত এক গতিতে চলতে ছিল। তাছাড়া প্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ভাবে চলছিল। যদিও লেনদেন তেমন না বাড়লেও সুচক তেমন একটা দরপতন ঘটেনি।
আলোচিত সপ্তাহে বাজার ছিল উঠানামার মধ্যে। তবে বাজারের সার্বক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে চলছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন। কারন বিগত বছরগুলোতে রমজানে যে ভাবে বাজার দরপতন ঘটেছিল। এ বছর একটু ব্যতিক্রম ছিল। এ বছর রমজানে লেনদেন ও সুচক স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে ঈদ পরবর্তী বাজার স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, ঈদের আগের বাজার হিসেবে বাজার কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। এ গতিতে চলতে থাকলে ঈদ পরবর্তী বাজার আরো ভালো হবে তেমনি লেনদেন বাড়বে। তাই বিনিয়োগকারীদের বুঝে শুনে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তারা। তবে আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।
সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯২ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৩১ শতাংশ বা ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ১৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। অপরদিকে,শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ১৮ শতাংশ বা ১ দশমিক ৯১ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টি কোম্পানির।আর দর কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে চট্টগ্রাম স্টকএক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৫১ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টি কোম্পানির।আর দর কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। |
c7664501-630b-4edd-82d4-252c334ed721 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজার। শুক্রবার পাউন্ডের দর গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। শুক্রবার গণভোটের ফলাফলে ব্রেক্সিট নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বৈশ্বিক অর্থ বাজারে টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি দিল ব্রেক্সিট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার দিনের শুরুতে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের নাটকীয় দরপতন হয়েছে। পাউন্ডের ইতিহাসে ডলারের বিপরীতে একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে।
এক পর্যায়ে পাউন্ডের এর দর ১০ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৩৩০৫ ডলারে নেমে আসে। যা ১৯৮৫ সালের পর সর্বোচ্চ দরপতন। ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের দর প্রায় ৭ শতাংশ কমে ১ দশমিক ২০৮৫ ইউরোতে নেমেছে।
পাউন্ডের দরপতনের চাপে ইউরোর দরও ডলারের বিপরীতে কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ইউরো চালুর পর একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর তারা এধরণের মারাত্মক পরিবর্তন আর দেখেননি। |
7ae544b8-7ded-472b-a6e8-fe1bd483b6d7 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে বিনিয়োগকারীদের। কোন ক্রমেই বাজারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। বরং দিনের দিনের দিন লোকসান বাড়ছে। এ যেন এক মরন বাজার। এ থেকে উত্তরনের কোন উপায় নেই। বাজার পরিস্থিতি ক্রমাগত নিম্নমুখী প্রবনতার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে নিটিং করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।
ঊর্ধ্বমুখী দরে কেনা শেয়ারে লোকসান কমাতে কম দরে একই শেয়ার পুনরায় কিনে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সফলতা পাচ্ছেন না তারা। অধিকাংশ সময় কম দরে ক্রয়কৃত শেয়ার বিক্রয় পরিপক্ক হওয়ার দিন বাজারে নিম্নমুখী প্রবনতা থাকায় নতুন করে লোকসান দিতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ঊর্ধ্বমুখী দরে কেনা একই শেয়ারের দর ক্রমাগত কমতে থাকলে তারা লোকসান কমানোর জন্য ওই শেয়ার কম দরে পুনরায় ক্রয় করেন। অনেক সময় একই দিনে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দরে কোনো শেয়ার বিক্রি করে দিনের শেষভাগে দর পড়ে গেলে একই শেয়ার ক্রয় করেন।
এভাবে দীর্ঘদিন ধরে তারা লোকসান সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু পড়তি দরে শেয়ার কিনে বিক্রয় করার সময় দেখা যায় বাজারে নিম্নমুখী প্রবনতা। বাধ্য হয়ে কম দরে একই শেয়ার আরো ক্রয় করেন।
কিন্তু ক্রয়কৃত শেয়ার বিক্রয়যোগ্য হওয়ার দিন পুনরায় দর পড়তে দেখা যায়। ফলে নিটিং করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। বাজারে একটানা মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। পুঁজিবাজারে স্মরনকালের ধ্বস ২০১০ সালের পর লোকসান সমন্বয় করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে, বছরে লেনদেনের টানা নিম্নমুখী প্রবণতায় ধারাবাহিক ভাবে কমছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নতুন বিনিয়োগে আসা বিনিয়োগকারীদের নিটিং-এ সুফল মিলছে না। উত্থানের সঙ্গে পতনের স্বাভাবিকতা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বিনিয়োগের পর বাই প্রাইজের নিচে থাকা শেয়ারগুলোর দর সমন্বয় করার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিটিং করে থাকেন। সাধারণত বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নতুন শেয়ার ক্রয় করে নিটিং করার চেষ্টা করে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেনের মিশ্র প্রবণতায় নতুন তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবের উপর ভিত্তি করে সার্বিক লেনদেন বাড়লেও কমেছে মূল্য সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের লেনদেনের স্বাভাবিকতা ব্যহত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানের অংক বড় হচ্চে। তাদের মতে, উত্থানের বাজার নতুন বিনিয়োগ নিটিংয়ের জন্য সঠিক সময় নয়। বরং পতনের বাজারে শেয়ার ক্রয় করে নিটিং করলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, লোকসান কাটানোর আশায় পুনরায় শেয়ার ক্রয় করেও সফলতার মুখ দেখছেন না তারা। বরং সময়ের সঙ্গে তাদের লোকসানের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। লোকসান কমানোর আশায় দফায় দফায় বিনিয়োগ করে লোকসানের পরিমাণ আরো বেড়েছে।
২০১০ সালের ধসের কারণে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর পুঁজি আটকে গেছে। বিশেষ করে ব্যাংকও আর্থিক খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অনাগ্রহের কারণে সে সময় এ খাতের বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশই লোকসান কমানের জন্য হাতে শেয়ার ধারণ করার পাশাপাশি পুনরায় বিনিয়োগ করে আরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এদিকে, সেকেন্ডারি মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার আকাশচুম্বি হলেও পরবর্তীতে তা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষন হারাচ্ছে। ফলে নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেও লোকসান বাড়ছে।
এম সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মহসিন সুজন জানান, পুরাতন শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে গিয়ে বারবারই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তাই নিজের স্বার্থেই এখন বিনিয়োগ থেকে দূরে আছি। |
a95ae282-bbe1-4ea4-bc08-79710778e422 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ারের এত লেনদেনের বাড়ার কারন কি। এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলেছেন, এ কোম্পানির শেয়ারের দর সামনে আরো বাড়বে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, টানা এক মান ধরে এ শেয়ারের দর বাড়ছে আর কত বাড়বে। এখন বিক্রির সময়।
সপ্তাহজুড়ে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের ৩০ কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা স্টক এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাঁচ কার্যদিবসের কেনাবেচা শেষে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ১০ নম্বরে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ দর সংশোধনের পর প্রায় দেড় মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন শেয়ারের দর। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৭২ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়।
গত এক বছরে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ৪০ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। গেল সপ্তাহে শেয়ারটির দর দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ওরিয়ন ইনফিউশন।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ৩৯ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৯ টাকা ২১ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
তখন ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস দাঁড়ায় ১ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা।
১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগ ৩ দশমিক ৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫২ দশমিক ৮৮, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৯ দশমিক ১৭। |
6295644c-c7f7-4bfe-a3bc-6663fbd9c41b | বিশেষ প্রতিনিধি, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ব্রেক্সিটের প্রভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কোন প্রভাব পড়বে কি, এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনার শেষ নেই। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা ব্রেক্সিটের প্রভাব নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমে ফোন করে এ বিষয় প্রশ্ন করেছেন।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হতে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ প্রত্যাহারের গণরায় বা ‘বেক্সিট’-এর ধাক্কা জিএসপি সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের ধারাকে প্রভাবিত করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যুক্তরাজ্য কর্তৃক বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাধাগ্রস্থ হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সংস্থাটি বলছে, ব্রেক্সিট ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। যা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইউরোপের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের চলমান অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে পারে। এ সিদ্ধান্ত সারাবিশ্বে নতুন একটি ভূ-রাজনৈতিক ধারার পাশাপাশি একটি ভূ-অর্থনৈতিক ধারাও সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ হলো বাংলাদেশি পণ্য রফতানির অন্যতম বৃহৎ বাজার। এছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য। প্রতিবছর ব্রিটেনে ৩.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। যার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ২.৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বাংলদেশে থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অপ্রচলিত পণ্যও যুক্তরাজ্যে রফতানি হয়ে থাকে।
ঢাকা চেম্বার মনে করে, বেক্সিটের ফলে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা ও বৈশ্বিক মুদ্রাবাজার ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রবণতা ও মন্দা অবস্থার সম্ভাবনা রয়েছে, পাশপাশি অন্যান্য মুদ্রার সঙ্গে পাউন্ডের বিনিময় হার কমে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
যদিও ইতোমধ্যে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ৩ শতাংশ কমেছে। এই ধারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনাকে আরো ঘনীভূত করবে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ড স্টারলিং ও ইউরোর অবমূল্যায়ন বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রফতানিতে মন্দা প্রভাব ফেলতে পারে।
আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের মোট ৫৫ শতাংশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ও ১২ শতাংশ ব্রিটেনে রফতানি হয়। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের অবমূল্যায়ন বাংলাদেশে রেমিটেন্স এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহে মন্দাবস্থা তৈরি করতে পারে।
পাশাপাশি ইইউ জোট থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত হতে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তাতেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ডিসিসিআই সরকারের প্রতি বিষয়টিকে সক্রিয় বিবেচনায় নিয়ে এর সম্ভাব্য প্রভাব নির্ধারণ এবং ব্রিটেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বা মধ্যস্থতার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ পরবর্তী আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ডিসিসিআই ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সংগঠন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় কমিটি গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, ‘ব্রেক্সিট’-এর পক্ষেই রায় দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রিটেনের ৫২ শতাংশ মানুষ। আর, তা নিয়েই শুক্রবার দিনভর বিশ্বজুড়ে কেঁপে উঠল শেয়ার বাজার। আর ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নামলো পাউন্ড। কিন্তু ব্রিক্সিটের প্রভাবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে কোন প্রভাব পড়বে কি, এমন প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, গতকাল ভারতের সকালে সেনসেক্স পড়েছে ১০৯০ পয়েন্ট, নিফ্টি ৩৪৩ পয়েন্ট। ৩১ বছরের তলানি ছুঁয়েছে পাউন্ড, ডলারে টাকা এক ঝটকায় নেমেছে ৯৬ পয়সা। তবে কিছুটা অপ্রত্যাশিত প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বাজারের ঘুরে দাঁড়াতে খুব দেরি হবে না বলেই মনে করছেন ভারতীয় পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা এমন খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।
বস্তুত, এ দিনই পরের দিকে ভারতের শেয়ার বাজার এবং টাকা তার হারানো জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করে। সেনসেক্সের ১০৯০ পয়েন্টের পতন লেনদেন বন্ধের সময়ে কমে দাঁড়ায় ৬০৪.৫১ পয়েন্টে। যার ফলে বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স সূচক স্থিতি হয় ২৬,৩৯৭.৭১পয়েন্টে।
অন্য দিকে নিফ্টি আগের দিনের থেকে ১৮১.৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮০৮৮.৬০ পয়েন্টে। ডলারে টাকাও কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়। এদিকে, দিনশেষে ভারতে ডলারের দাম ছিল ৬৭.৯৬ টাকা। তবে গত ৪ মাসের মধ্যে টাকা এতটা নীচে নামেনি।
শুক্রবার বাজার খোলার শুরু থেকেই গণভোটের ফলাফল দেখে হতাশ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেচতে শুরু করেন। দ্রুতগতিতে পড়তে থাকে শেয়ারের দাম। তার সঙ্গে তাল রেখে নেমে আসে সূচকের পারা।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায়কে (ব্রেক্সিট) ২০০৮ সালের মতো আরেকটি বৈশ্বিক মহামন্দার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। কারণ ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজার এবং বিনিয়োগ খাতে পুরোদমে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের এই আতঙ্ক এবং বাজারের অচলাবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘প্যানিক মোড’।
এরই মধ্যে ব্রিটেনের পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে। ধস নেমেছে ইউরোপ, এশিয়া এবং ওয়াল স্ট্রিটেও। পৃথিবীর বড় বড় ব্যাংক যেমন- মার্কিন মুলুকের জেপি মরগ্যান, গোল্ডম্যান স্যাক্স, স্কটল্যান্ডের রয়্যাল ব্যাংক, বার্কলেস, ক্রেডিট সুইস এবং জার্মানির ডয়েচে ব্যাংক ভয়াবহ পতনের সম্মুখীন হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের পতন হয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। বিনিয়োগকারীরা এখন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তুলনামূলক নিরাপদ মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দিকে। অথচ এর হার এখন ২০১২ সালের পর সর্বনিম্নে এসে দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর মেয়াদী মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের হার এখন ১.৪ শতাংশ। বিপরীত চিত্র স্বর্ণের দামে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনবে না। কারণ, গত সব অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাজার পতনের সময় স্বর্ণের দাম চড়া ছিলো। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটে বাজারের অস্থিরতা পরিমাপক সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সম্প্রতি জানিয়েছে বাজারের চাপ মোকাবেলার জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারল্য সরবরাহের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সিএনএনের রিপোর্টে বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বিনিয়োগকারীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। এভারব্যাংক ওয়ার্ল্ড মার্কেটের প্রধান ক্রিস গ্যাফনে বলেন, ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া যতটা না অর্থনৈতিক সঙ্কট, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সঙ্কট। এতে তারল্য সঙ্কট তেমন একটা হবে না। তবে একটা বড় প্রভাব পড়তে পারে।
ভয়া ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ডগলাস কোট বলেন, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত বাজারের অস্থিরতা মোকাবেলার চেষ্টা করে ।
তবে তারপরও ব্রেক্সিট ক্ষণস্থায়ী অস্থিরতার জন্ম দেবে। কোট বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনার বিনিয়োগ পরিকল্পনা হুট করে পাল্টাবেন না। বাজারে উত্থান-পতন থাকবেই। তাই তড়িৎ সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভাল। ব্রেক্সিট বাজারে সত্যিই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না তা পুরোপুরি বুঝতে আরও সময় লাগবে। |
b80bae0b-3102-4696-b759-06931b6ebaeb | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারেন তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (এসপিসিএল) সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান পেট্রোমেক্স রিফাইনারি লিমিটেডের পরিচালকদের জরিমানা কমিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কমিশনের নিয়মিত সভায় পেট্রোমেক্স পরিচালকদের জরিমানা অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে গত বছর পেট্রোমেক্স রিফাইনারির ছয় পরিচালক ফিরোজ আলম, ফরিদুল আলম, রেজাকুল হায়দার, আনিস সালাউদ্দিন আহমেদ, একেএম বদিউল আলম ও মো. সামসুজ্জামানকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে জরিমানা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে কমিশন সম্প্রতি জনপ্রতি জরিমানা ৫ লাখ টাকায় নামিয়ে আনে।
এর আগে আর্থিক প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য সরবরাহ করার দায়ে এসপিসিএলের সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মোট ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করে পরবর্তী সময়ে তা কমিয়ে আনে কমিশন।
এদিকে কোম্পানির পরিচালকদের প্রতি সহানুভূতি দেখালেও দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে এসপিসিএলের শেয়ারকে মার্জিন ঋণ সুবিধার বাইরে রাখার নির্দেশনা বহাল রেখেছে কমিশন। শেয়ার দরে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রুখতে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর এসপিসিএলের শেয়ারে ঋণসুবিধা বাতিল করে বিএসইসি।
একই সঙ্গে স্বাভাবিক বাজারের পরিবর্তে নগদ টাকায় কেনাবেচার (স্পট মার্কেটে) বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে গত বছরের ১৪ জুলাই স্পট থেকে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে এলেও মার্জিন সুবিধা পুনর্বহাল করা হয়নি। এছাড়া প্রতিদিনের লেনদেন শেষে এসপিসিএলের শেয়ার লেনদেন-সংক্রান্ত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রতি যে নির্দেশনা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মার্জিন সুবিধা প্রত্যাহার করায় গত দুই বছরে শেয়ারটি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দর হারায়। গত এপ্রিলে শেয়ারটি ৯০ টাকায় নেমে আসে। তবে সরকার রিফাইনারি থেকে ক্রয়কৃত জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দিলে এর দর আবার বাড়তে থাকে। গতকাল এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৩৫ টাকায় উন্নীত হয়।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্য আয় অনুপাত ৪০ বা এর নিচে থাকলে কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনায় মার্জিন সুবিধা পাওয়া যায়। বুধবার লেনদেন শেষে এ কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ২৮। তবে এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগকারীরা কোনো মার্জিন ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, এসপিসিএলের শেয়ারে কারসাজির দায়ে গত বছর আট প্রতিষ্ঠান ও সাত ব্যক্তিকে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। এর বাইরে এসপিসিএলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার ক্রয় ও তা সংরক্ষণের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে শেয়ার দর বাড়ানোয় তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
তবে কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ইয়াজদানীকে মামলার পরিবর্তে বড় অঙ্কের জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তবে একই শেয়ারে কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারী গোলাম মোস্তফা, নাসিমা আক্তার লতা এবং গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টার শেয়ারবাজার লিমিটেডের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।
প্রসঙ্গত, কমিশনের অনুমোদনক্রমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পর ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে এসপিসিএলের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের কয়েক কার্যদিবসে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় একই বছরের ৪ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। এর পর দরবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
লেনদেন শুরুর ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮৯ টাকায় উন্নীত হয়। পরবর্তীতে কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের উত্পাদনের বিষয়টি প্রকাশ না করা ও অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির জন্য এর শেয়ার লেনদেনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালায় বিএসইসি। অস্বাভাবিক চাহিদার কারণে মাত্র এক মাসে শেয়ারটির দর ৮৯ টাকা থেকে ৩৩৮ টাকায় উন্নীত হয়।
পরবর্তীতে বিশেষ নিরীক্ষায় কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর সংশ্লিষ্ট হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ২ টাকা ৫০ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা ৪৮ পয়সায় নেমে আসে। আর্থিক প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য সরবরাহ করার দায়ে শাহজিবাজার পাওয়ারের সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জরিমানাও করে কমিশন। আর্থিক বিবরণীতে বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্টান্ডার্ড (বিএএস) পরিপালন না করায় এসপিসিএলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে (সিএফও) ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। |
bf10566e-8535-4788-b8da-f898eceddc6f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের উর্ধ্বমুখীর মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বেড়ে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম। আজ ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। আর সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট।
তবে গত কার্যদিবসের চেয়ে এদিন ডিএসইতে লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৬১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫৮৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০৭ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১০ পয়েন্টে এবং ১৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৬টির, কমেছে ৭৫টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, একমি ল্যাবরেটরিজ, ইসলামী ব্যাং, সিটি ব্যাংক, বেক্স ফার্মা, আমান ফিড, কেয়া কসমেটিকস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফার ক্যামিকেল।
অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ৪১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৬৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১০৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮০২ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ১০ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১৫০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৭৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এছাড়া সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ৫৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, ফার কেমিক্যাল, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, লিন্ডে বাংলাদেশ, বিএসআরএম লিমিটেড এবং জিপিএইচ ইস্পাত। |
5f761420-b64b-4785-b112-9f24975e2d34 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে রোড শো’র আয়োজন করেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হতে চায়। আজ ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা-সেমিনার হলে কোম্পনটি এ রোড শো’র আয়োজন করেছে। কোম্পানির এ রোড শো পুঁজিবাজারের ইলিজিবল ইনভেষ্টরদের উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য,যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজার ও তাদের পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও ফান্ডের ম্যানেজার, অনুমোদিত পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করা বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এবং কমিশন অনুমোদিত বিনিয়োগকারীরা বুক বিল্ডিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডকে পুঁজিবাজারে আনার জন্য ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে ত্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড কাজ করছে। এছাড়া ইস্যু রেজিষ্টার হিসেবে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড দায়িত্ব পালন করছে।শ, বিএসআরএম লিমিটেড এবং জিপিএইচ ইস্পাত। |
8c03cae6-41b9-4789-9f4e-93d0990a6e3a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গুলশানের রেস্টুরেন্টে পাঁচ হামলাকারীর ছবি সাইট ইন্টেলিজেন্স প্রকাশের ঘণ্টাখানেক পর নিহত ওই হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করলো পুলিশ। শনিবার রাত ১০টা ৫১ মিনিটে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। কিছুটা বিকৃত হয়ে যাওয়া ছবিগুলোর সাথে সাইট প্রকাশিত ছবিগুলোর মিলও পাওয়া যাচ্ছে।
ছবির সঙ্গে পাঁচ সন্ত্রাসীর নামও পাঠিয়েছে পুলিশ। এরা হলো: আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন এবং রিপন। যদিও সেনাবাহিনির পক্ষ থেকে ৬ সন্ত্রাসী নিহত এবং একজন সন্দেহভাজন আটক হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
শনিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ওই ঘটনায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামাজে জানাজা শেষে পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানান, নিহত সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশি। এবং পাঁচ জনকে অনেক ধরেই খুঁজছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর রোডের ৫নং বাড়িতে অবস্থিত হলি আর্টিসান রেকারি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। ওই সময় রাতের খাবার খেতে আসা লোকজনকে জিম্মি করে তারা। পরে শনিবার সকালে সেনাকমান্ডোর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ৬ সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর জানায় আন্তঃবাহিনি জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে ২০ বিদেশি লাশ উদ্ধারের খবরও জানানো হয়।
তবে এর আগেই শুক্রবার রাতেই সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাশ শনাক্তের পর আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, রেস্টুরেন্টের ভেতরে নিহতদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি এবং তিন জন বাংলাদেশি।
শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই সাইট ইন্টেলিজেন্স আইএসের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিতি ‘আমাক’ এজেন্সির বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস। ২০ জনকে হত্যার খবরও দেয়া হয়। শনিবার সকালে যৌথ অভিযানে ঠিক ২০ জনের মৃতদেহই উদ্ধার করা হয়েছে। সুত্র: বাংলামেইল |
b38e996b-6192-4101-be71-a9157fe97968 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ সব টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচার করা হয়।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, গতরাতে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। সেখান অবস্থানরত নিরস্ত্র, বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং হত্যাকা- শুরু করে।
শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র রমজান মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যখন এশা ও তারাবির নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিন তখন এই হামলা ধর্ম ও মানবিকতাকে অবমাননা করেছে। এই বর্বর ও কাপুরুষাচিত আক্রমণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে নজিরবিহীন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেয়। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখান পৌঁছায় এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরবর্তী সময় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর কমান্ডারারা অভিযানে অংশগ্রহণ করে আজ সকালে জিম্মিদের মুক্ত করে আনে। ছয়জন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তিনজন বিদেশিসহ ১৩ জন জিম্মিকে আমরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতেক সমর্থ হই।
সরকারপ্রধান বলেন, এ অভিযান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য বাহিনীর যেসব সদস্য অংশ নিয়েছিল আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নেতারা যারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নৃশংস হামলায় দুজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমি নিহত পুলিশ সদস্য এবং সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাছি। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন- মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই প্রার্থনা করছি। নিহতদের স্মরণ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি আত্ম-মর্যাদাশীল এবং আত্ম-নির্ভরশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে¦র বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তখন দেশি-বিদেশি একটি চক্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
অস্ত্রের মুখে নিরীহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এরা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চায়। গণতান্ত্রিক পথে মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়ে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। কোমলমতি যুবক-কিশোদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মানুষ হত্যা করছে।
বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ ষড়যন্ত্রকারীদের কৌশল বাস্তবায়িত হতে দেবে না। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো মূল্যে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত প্রতিহত করবো। নিজেদের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদশর সার্বভৌমত্ব আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় বিপথগামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরাধী কমিটি, কম্যুনিটি পুলিশ এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাস মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব কোমলমতি যুবক-কিশোর বিপথে পরিচালিত হচ্ছে, যারা তাদের মদদ দিচ্ছে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- মানুষকে হত্যা করে কী অর্জন করতে চান? ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার সন্তানকে সুশিক্ষা দিন। তারা যাতে বিপথে না যায় সেদিক নজর রাখুন। বিপথগামীদের প্রতি আহ্বান আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন। ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখুন। |
ae220879-7b82-4c1f-9c7e-b2ff5e72f144 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ২০ জন অতিথিকে গলাকেটে হত্যা করেছে যে ৭ জন, তারা সবাই একটি স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে এসব হামলাকারী যুবকদের কোনো যোগাযোগ নেই। খবর এএফপির।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হামলাকারীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত তরুণ এবং ধনী পরিবারের সন্তান। এরা কেউই কখনও মাদরাসায় পড়তে যায়নি। ইসলামিক জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া আজকাল একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরই মধ্যে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেটের বার্তা সংস্থা আমাক।
আইএসপিআর থেকে হামলাকারীদের মৃতদেহের যে ছবি সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে আমাকে প্রকাশিত জিহাদিদের চেহারা অনেকাংশেই মিলছে। এর আগে শুক্রবার রাতেই আমাকের বরাত দিয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স খবর দিয়েছিল, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হামলার দায়িত্ব নিয়েছে আইএস এবং জিহাদিরা ২০ জনকে হত্যা করেছে।
পরে শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের পর হলি আর্টিজানে ২০ জনেরই জবাই করা মৃতদেহ পাওয়া যায়। এমনকি কমান্ডো অভিযানের আগেই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর ভেতরের হত্যাযজ্ঞ এবং জবাই করা মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করা হয় সাইটে। এদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশী, দু’জন বাংলাদেশী ও একজন ভারতীয় নাগরিক।
কমান্ডো অভিযানে ৬ জন হামলাকারী নিহত হলেও একজনকে জীবিত আটক করা হয়েছে। তাকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে ফেসবুকে কিছু তরুণের প্রোফাইল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এসব প্রোফাইলের কোনো কোনোটির মালিকের সঙ্গে হামলাকারীদের চেহারার মিল পাওয়া যাচ্ছে।
অন্তত তিনজনের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গেছে, তারা ঢাকায় নামকরা ইংরেজী মাধ্যম স্কুল ও শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণ শেষে মালয়েশিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন।
পুলিশ এবং ইসলামিক স্টেটের বার্তাসংস্থা আমাক হামলাকারীদের যে ছবি প্রকাশ করেছে, সেসব ছবির সঙ্গে এই প্রোফাইলের মালিকদের চেহারা মিলে যাচ্ছে। অন্তত একজন প্রোফাইলের মালিকের পিতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার অফিসের ফোনটিও কেউ ধরেননি।
আরেকজনের প্রোফাইল রোববার ভোররাত ৩টা পর্যন্ত বহুবার শেয়ার হয় ফেসবুকে। তাদের পিতামাতা, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবেরও ছবিও বহুবার শেয়ার হয়। এরপর থেকেই প্রোফাইলটি অকার্যকর দেখা যায়। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের প্রোফাইলও অকার্যকর দেখা যায়। কিন্তু এরাই গুলশানের হামলাকারীরা কিনা সেটা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
আইনশৃংখলা বাহিনী হামলাকারীদের যে নাম প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে এসব প্রোফাইলধারীদের নামরে কোনো মিল নেই। এদিকে যে পাঁচ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় তুলে ধরেছেন ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা স্কুল-কলেজ সূত্রে পরিচিতজনরা।
এই পাঁচ জঙ্গির মধ্যে একজন নিব্রাস ইসলাম নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। তার সাবেক সহপাঠীরা নিব্রাসকে শনাক্ত করে তার ছবি ও পরিচয় ফেসবুকে প্রকাশ করে দিয়েছেন।পরে লাইকও দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছ-মীর সাবিহ মুবাশ্বের, সে স্কলাসটিকার ছাত্র।
এ লেভেল পরীক্ষার আগে গত মার্চে মুবাশ্বের নিখোঁজ হন বলে তার এক সহপাঠীর বরাত দিয়ে জানিয়েছিল। তৃতীয় হামলাকারী হচ্ছেন- রোহান ইমতিয়াজ, এই ছেলেও স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র। বাবা-মার সঙ্গে তার ছবির পাশে দেওয়া হয়েছে সাইটের ছবি, যেখানে দুই ছবির মধ্যে মিল পাওয়া যায়।
ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া ছবির আইডিতে দেখা যায় নিহত রোহান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ইমতিয়াজ খান বাবুলের ছেলে।সে মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে রয়েছেন।এক বছর ধরে ছেলে নিখোঁজ ছিলো।
ছেলের ফিরে আসার আকুতি জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন বাবুলের।এ ব্যাপারে বাবুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। হামলাকারীদের একজন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-সানিডেলের ছাত্র রয়েছে বলে জানা গেছে।তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে প্রকাশিত একজন জঙ্গিকে রেস্টুরেন্ট এর শেফ এর পোশাক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। তবে, এটা কোন জায়গার ছবি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলাকালীদের তিনজন মালয়েশিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে তাদের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। |
d2ec24ae-0de6-4215-a56f-79a37e815cd8 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বাজার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যারা বাজার নিয়ে প্যানিক ছড়াচ্ছেন তারা পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। সুতারাং বাজার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।
রোববারের হতাশা কাটিয়ে আশা করি সোমবার থেকে বাজারের গতিশীল ধারায় ফিরতে পারে পুঁজিবাজার। লেনদেন ফিরতে পারে স্বাভাবিক ধারায়। যদিও রোববারের লেনদেনর পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। দেশের পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বাজার নিয়ে খুবই আশাবাদি। তাদের মতে, সাম্প্রতিক দুটি জঙ্গি হামলার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ছিল রোববারের বাজারে। কিন্তু এটি একেবারেই সাময়িক। দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে কোনো প্রভাব না-ও পড়তে পারে।
ঈদের লম্বা ছুটি শেষে রোববার প্রথম লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে। এদিন লেনদেনের প্রথমভাগে কাঁপন ধরানো পতনের আশংকা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৩ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার পাশাপাশি চলতে থাকে সূচক পুনরুদ্ধার। দিনশেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়ায় চার হাজার ৪৯৫ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে মাত্র ১২ পয়েন্ট কম।
তবে সূচক পুনরুদ্ধার হলেও রোববার লেনদেনে কিন্তু গতি ছিল না। রোববার দিনের প্রথম প্রভাগে লেনদেনে যে ধীর গতি ছিল, সেই ধারা দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত বজায় থাকে। এদিন ডিএসইতে ২০৯ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর পরিচালকরা বলেছেন, সকালে যারা সেল দিয়েছে তাদের সংখ্যা ছিল অল্প কয়েকজন। কিন্তু কেনার ব্যাপারে কাউকে কিছু বুঝে উঠতে দেয়ার আগেই একের পর এক সেল আসতে থাকায় বাজারে সেল প্রেসার সৃষ্টি হয় আর ক্রেতারাও আরেকটু ধীরে কেনার নীতি অবলম্বন করায় ৬৬ পয়েন্ট পর্যন্ত মাইনাসে চলে যায় বাজার। অবশ্য সচেতন শ্রেনীর তৎপরতায় অল্প সময়ের ব্যবধানেই বাজার ঠিক হয়ে যায়।
বাজার স্বাভাবিক হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারন যারা প্যানিক হয়ে সেল দিয়েছে তারা একেবারেই না বুঝে এই কাজটি করেছে। দেশে যে ঘটনা ঘটেছে তার সাথে আমাদের পুঁজিবাজারের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। কাজেই জঙ্গি হামলার প্রভাব বলে আজকের সকালের ঘটনাটিকে কিছুতেই মেলানো ঠিক হবেনা।বাজারের শেষ সময়ে সব ঠিক হয়ে গেছে আর আগামি কাল থেকে আরো ঠিক হবে ইনশাআল্লাহ।
আজকের বাজার নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন, ঈদের দিন এবং এর পূর্বে সংঘটিত কোনো ঘটনার প্রভাব বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে পড়বেনা এবং সেই ঘটনার সাথে পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্কও নেই।
তারা জানিয়েছেন, আজ সকালে ঈদছুটি পরবর্তী প্রথম লেনদেন দিবসে কতিপয় বিনিয়োগকারী আতংকিত হয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করলে যে প্যানিক সৃষ্টি হয়েছিল তা অভিজ্ঞদের হস্তক্ষেপে নিরসন হয়েছে।
তারা বলেন, ঈদের আগে বাজার টানা উত্থানে ছিল সে হিসাবে আমাদের ধারনাই ছিল ঈদের পরে বাজার একদুদিন হয়তো কমতে পারে। কিন্তু সেই কমার সাথে গুটিকয়েক বিনিয়োগকারীর আতংক সৃষ্টির মাধ্যমে সেল প্রেসার বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনাটি একেবারেই স্বাভাবিকের বাইরে।
যারা সেল দিয়েছেন এবং সেল দিতে উৎসাহ যোগিয়েছেন তাদের প্রতি ওই ব্রোকারেজগন বিনীত আবেদন জানিয়ে বলেছেন, বাজার খুই স্বাভাবিক আছে কেউ প্যানিক হয়ে সেল দিতে যাবেননা। সেল যদি দিতেই হয় দিবেন কিন্তু প্যানিক হয়ে নয়।
ডিএসইর একাধিক সদস্য আশা প্রকাশ করে বলেছেন, যেকোনো মুহূর্তে বাজার ঘুরে যাবে এবং শেষ অবধি তাই হয়েছে- কারন শেষ মুহূর্তে বাজারের মাইনাস ছিল সেই ৬৬ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১২ পয়েন্টে। আর তারা বলেছেন, আগামিকাল থেকে বাজারের আচরন থাকবে খুবই ইতিবাচক।
এদিকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানসহ নানা কারণে ঈদ-উল-ফিতরের পর বাজারে নতুন গতিশীলতা দেখা যাবে এমন প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি এবং ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় এই আশাবাদে বড় ধরনের আঘাত লাগে। যার প্রভাবে রোববার প্রাণহীন হয়ে পড়ে বাজার।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রোববার বাজারে ছিল ঘটনা দুটির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। লেনদেন শুরুর আগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যতটা আতঙ্ক ছিল না, পরে কিন্তু ততটা ছিল না। ধীরে ধীরে তা হালকা হয়ে আসে। আর এ কারণে মূল্যসূচক অনেকটা পুনরুদ্ধার হয়।
ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ঈদের ছুটির পরে সবাই এখনও মার্কেটে আসেনি। আর হামলার ঘটনা দুটি মানুষকে চিন্তার মধ্যে ফেলেছে ঠিকই, তবে এটা সাময়িক। দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।
ডিএসইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, প্রথম দিকে একটু পেনিকড ছিল। তবে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে তা কেটে গেছে। কারণ সাম্প্রতিক ঘটনার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য কোনো প্রভাবও পড়বে না। আমি বিনিয়োগকারীদের বলবো; বাজার নিয়ে পেনিকড না হয়ে ধৈর্য ধারণ করুন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি বাজার নিয়ে আশাবাদী। পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক ঘটনার তেমন প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আজকের মার্কেট তারই প্রমাণ। এর কারণে রপ্তানিমুখী শিল্পের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে সেটাও সাময়িক। তাই চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই। |
a9e85bcf-3ba8-447f-96f3-1d1fcec7a471 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। সূচকের পাশাপাশি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইতে আজ ৩১৩ টি কোম্পানির ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭ টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ২০৯ কোটি ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা কম।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১২.৩৯ পয়েন্ট কমে ৪৪৯৫.১৮ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১১.২৬ পয়েন্ট কমে ১৭৫৯.৫৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক ৬.৩১ পয়েন্ট কমে ১১০৪.৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩১৩ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩ টির, কমেছে ২০৫ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫ টি কোম্পানির শেয়ার।
তবে টাকার অংকে লেনদেনের শীর্ষস্থানীয় ১০টি কোম্পানি হলো: ইসলামি ব্যাংক,লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অ্যাকমী ল্যাব,স্কয়ার ফার্মা, সিটি ব্যাংক,ন্যাশনাল ফিড মিল,ন্যাশনাল ব্যাংক,বিএসআরএম লিমিটেড,শাহজিবাজার পাওয়ার ও আমান ফীডস।
এদিকে শেষ মুহূর্তে ইনডেস্কের উৎফলন ঘটেছে। এক সময় ইন ডেস্কের মান ৬৫ পয়েন্ট কমে গিয়েছিল। সেখান থাকে শেষ মুহূর্তে বাই পেশারের কারনে তা -১২.৩৯ এ দাড়ায়। অনেকটা রিকভারি করেছে ইনডেস্ক । সকাল থেকে পতনে থাকা ইনডেস্ক বেলা ১.০০ পর্যন্ত অনেকটা রিকভারি করেছে। সকাল থেকে ইনডেস্কের পতন হলেও শেষ পর্যন্ত ট্রেন্ড বজায় রেখেছে ইনডেস্ক ।
সকাল থেকেই ইনডেস্কের বিশাল পতন দেখা যায়। এক পর্যায়ে ৬৫ পয়েন্ট নেগেটিভে যায়। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে তা উন্নত করার চেষ্টা চলে। দিনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ফার্মা সেক্টরের দিকে, তবে মার্কেট ফ্রেম দেখলে দেখা যায় দিনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ফার্মা সেক্টরের দিকে। তবে দিনশেষে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ারে ঝুঁকছেন।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ইসলামী ব্যাংকের মোট ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি শেয়ার ১ হাজার ২১৪ বার লেনদেনে হাতবদল হয়। যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। আজ কোম্পানিটি মোট ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বাজার মূল্যের ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮২টি শেয়ার লেনদেন করেছে। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। এই কোম্পানি ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৪টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা ৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংক ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ফিড মিল ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বিএসআরএম লিমিটেড ৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, এসপিসিএল ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ও আমান ফিড ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। |
9b8da639-5e0b-4b4d-89c6-6f3b65829d73 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ফরচুন সুজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ফরচুন সুজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটিকে অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত ৯ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে মেশিনারিজ ক্রয়, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করবে। ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
বরিশালের কাউনিয়ায় বিসিকি শিল্প নগরীতে কারখানা ও ঢাকার ডিওএইচএস এলাকায় প্রধান কার্যালয় রয়েছে ফরচুন সুজের। স্থানীয় বাজার ছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, তাইওয়ান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং চীনে ফরচুনের জুতা রপ্তানি হয় বলে এর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। |
16ca1cf9-1a6d-4d61-9a39-f16f631c0bf0 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলার পর অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম জঙ্গিদের মদদের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বাধ্য হয়ে তিনি সে কাজ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন থেকেই হাসনাত করিমকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বাড়ি থেকে একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে, ১০ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জঙ্গিদের মদদ দিতে বাধ্য হওয়ার কথা জানান।
হাসনাতের বরাত দিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) এক কর্মকর্তা জানান, রেস্টুরেন্টের আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ দেখে হাসনাত করিমের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। জঙ্গিদের সঙ্গে তার স্বাভাবিক কথাবার্তা ও একপর্যায়ে তার হাতে একটি অস্ত্র দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত জানান, অস্ত্র হাতে না নিলে জঙ্গিরা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। মৃত্যুর ভয়ে সে অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয় বলে জানান।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলার প্রাথমিক প্রতিরোধেই প্রাণ হারান পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হলেও তারা আগেই ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয় পুলিশের সিটি ইউনিটের কাছে। তবে মামলার এজাহারে হাসনাত করিমের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘হাসনাত করিম ডিবি কার্যালয়ে নেই।’ তবে রোববার সন্ধ্যায় হাসনাত করিমের বাবা ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম ডিবি অফিসে গেলে এক ডিবি কর্মকর্তা তার কাছে স্বীকার করেন যে, হাসনাত করিম তাদের হেফাজতে আছে। তবে তাকে হাসনাত করিমের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনার দিন হাসনাত করিম তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে আর্টিসান রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। এরপর ওই রেস্তোরাঁয় জিম্মিদশা শুরু হলে রাতেই গুলশানে আসেন হাসনাতের চাচা আনোয়ার করিম। সেখানেই তিনি জানান, রাত ১০টা ৪১ মিনিটে হাসনাত ফোন দিয়েছিল। সে বলেছে, বাইরে থেকে যেন কোনো পুলিশ গুলি না করে, তাহলে জঙ্গিরা আমাদের মেরে ফেলবে।
হাসনাত ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করে নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ। |
07bdec6b-c90b-403d-8027-2605a09bb1ba | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। এদিন উভয় বাজারেই সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশা বেধেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে দীর্ঘ নয় দিন বন্ধ থাকার পর টানা দুই দিন মন্দা ভাব ছিল শেয়ারবাজারে। বিশেষ করে প্রথম দিন রোববার বড় ধরনে ধ্বস হয়েছে। কিন্তু দুইদিন পর মঙ্গলবারের বেশির ভাগ শেয়ার দর উত্থান ধারায় ফেরায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশা সঞ্চার হয়েছে।
তাছাড়া এদিন ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যোগদান করেছেন। বিশেষ করে এমডির যাত্রা শুভ বলেও মনে করছেন তারা। তবে লেনদেন স্থিতিশীল হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। আর এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সব সময় সক্রিয় অংশ গ্রহন প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়াও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ১২২ কোটি টাকা বেশি। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৭২ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির শেয়ার দর।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৮ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১০১ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৮৭৬ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসআই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৯৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে টাকা অংকে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। এর মধ্যে বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। |
3eb78b01-50e8-4790-9050-6006a05c7963 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: কেমন যেতে পারে শনিবারের পুঁজিবাজার এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আলোচনার শেষ নেই। তবে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বাজার ভাল যাবে। কারন বাজার ভাল না হওয়ার কোন কারন দেখছে না বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এছাড়া গত কয়েক কার্যদিবসের বাজার পরিস্থিতি দেখলে মনে হচ্ছে বাজার ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে লেনদেনের পরিমান, সামনে আরো লেনদেনের পরিমান বাড়বে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সব মিলিয়ে একটি স্থিতিশীল বাজার রয়েছে বলে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা মত প্রকাশ করছেন। এ বাজার থেকে বিনিয়োগ তোলা সম্ভব, তবে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশার আলো ঝাঁগতে শুরু করছে। বিনিয়োগকারীরা গত কয়েকদিনের বাজার পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তিতে। আমরা গত এক মাস ধরে বার বার নিউজ একটা কথাই লিখছে ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাস’ আর এই আভাস সত্যি হচ্ছে!
এবার আমরা ‘কেমন পুঁজিবাজার চাই’ ‘বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে’ এ নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। এজন্য বাজার সর্ম্পকে বিনিয়োগকারীদের মতামত আশা করছি। যাদের মতামত ভাল হবে । তাদের নাম সহ শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমে আমরা প্রকাশ করছি। তবে এ প্রতিবেদনে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
আস্থা ফিরিয়ে এনে শেয়ারবাজারকে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে এবং অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই কাজ করতে হবে। তবে মূল ভূমিকাটি রাখতে হবে নীতিনির্ধারকদেরই। এজন্য নীতির স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, সংশ্লিষ্টদের পেশাগত মানোন্নয়ন, আর্থিক হাতিয়ারের বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজার কেমন হবে বাজারের ভবিষ্যত বিষয় একাধিক অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এবং বাজার বিশ্লেষকরা শেয়ারবার্তার কাছে এমন মত দিয়েছেন।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী মাহামুদুল আলম বলেন, পুঁজিবাজার থেকে মূলধন জোগানের সুযোগ যত বাড়বে, দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের বোঝা তত হালকা হবে। পুঁজিবাজার থেকে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় অর্থসংস্থান সম্ভব। এছাড়া বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে তারা মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই মূহুর্তে বাজারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরী। এক্সপোজার সমস্যা প্রায় সমাধান হয়ে গেছে এবং ব্যাংকের নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন সময়ের ব্যাপার। তবে বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলছে। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক।
আমিনুল ইসলাম স্বপন নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, পুঁজিবাজার ভাল যাবে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সরকারের আন্তরিকতায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে। আশা করি লেনদেন ধীরে ধীরে বাড়বে। লেনেদেন খুব শিগরিই ৬-৭ শত ঘরের যাবে। এছাড়া বাজার পরিস্থিতিতে ফাইন্যান্সের শেয়ার ভাল হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন।
মফিজুর রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন , শনিবারের বাজার ভাল যাবে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া সরকারের আন্তরিকতায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে। আশা করি বাজার ভাল যাবে। তবে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার ভাল হতে পারে।
একরাম হোসেন তুষার নামে এক বিনিয়োগকারী লিখিছেন, পুঁজিবাজারে কয়েকটি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক সহ সাধারন বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। মুলত বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাসে এসব কোম্পানিতে সাধারন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে বাজারে লেনদেন বাড়ার পুর্বাভাস বুঝা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে কিছু কোম্পানির লেনদেন বাড়ছেই। সরকারের আন্তরকিতায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে । এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি বাজার ভাল যাবে।
খোরশেদ আলম নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, যেহেতু রবিবারে নতুন শেয়ার বাজারে আসবে তার প্রভাবে আগামীকাল মার্কেট ডাউন থাকবে,তাছাড়া গত কিছু দিনে প্রায় ১০০+ ইন্ডেক্স বেড়েছে, আর এস আই ৭০+ সুতরাং ডাউন থাকার সম্ভাবনাই বেশী।
জামির হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন,বর্তমান পুজিবাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয় টেক্সটাইল খ্যাত যেকোন সময় মিউচুয়াল ফান্ডের মত হতে পারে।
আ্ল মামুন নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, জুন ক্লোজিং শেয়ারকে ঘিরে সামনের দিন গুলোতে পুজিবাজার চাঙ্গা থাকবে । নতুন আইপিও ঘিরে শনিবারের মার্কেটে সেল পেশার থাকবে।
আসাদুজ্জামান টিপু নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, পুঁজিবাজার খুব ভাল হবে। কারন ব্যাংকগুলো নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করছে। ব্যাংকের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাজার ভাল না হওয়ার বিকল্প নেই। এছাড়া বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সরকার আন্তরিক রয়েছে। লেনদেনের গতি সামনে আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। |
f7137a33-785e-4985-b5b5-8c95773a18e0 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত (জানুযারি-জুন ১৬) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সুত্রে জানায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৭ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকারী নগদ প্রবাহের সমন্বিত পরিমাণ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৮.৭৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩২.৮৫ টাকা।
যা আগের বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.০৫ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ১১.৭৭ টাকা এবং এনএভিপিএস ছিল ৩০.৩৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.০২ টাকা। গত তিন মাসে ( এপ্রিল-জুন ১৬) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে আয় ছিল ১.৩৮ টাকা। |
b297168c-c904-4075-9e17-74e9d13cccf6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশীয় দর্শকদের মানসম্পন্ন ট্রাভেল কনটেন্ট দেখার সুযোগ করে দিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ চ্যানেল ট্রাভেল এক্সপি আনলো দেশের প্রথম ডিরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েলভিউ। এর ফলে ঘরে বসেই ৪০টিরও বেশি দেশে ধারণকৃত বিশ্বের বিভিন্ন ভ্রমণ গন্তব্যের বৈচিত্রময় ভ্রমণ কনটেন্ট দেখা যাবে।
বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের মালিকানায় ও পরিচালনায় থাকা রিয়েলভিউ দেশের প্রথম ডিরেক্ট-ট-হোম (ডিটিএইচ) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। দর্শকদের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যানেল সংযোজনে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে রিয়েল ভিউ।
সুলভ মূল্যে রিয়েলভিউ সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ছবি ও শব্দ নিশ্চিত করে আসছে। মাসিক মাত্র ৩০০ টাকার বিনিময়ে দেশীয় ২৬টি চ্যানেলসহ শতাধিক চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা। এর মধ্যে রয়েছে ০৫টি এইচডি চ্যানেল।
নতুন এ চ্যানেল যুক্ত করা সম্পর্কে রিয়েলভিউ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দিমিত্রি লেপিস্কি বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক ভ্রমণ পিপাসু দর্শক রয়েছেন। ট্রাভেল এক্সপি তাদের উৎসাহ ও আকাঙ্খা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
ট্রাভেলএক্সপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত চোঠানি বলেন, সারাবিশ্বের ভ্রমণপিপাসু দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর যে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে, বাংলাদেশের রিয়েলভিউ এ ট্রাভেল এক্সপি’র যাত্রা শুরু করা তাতে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য লোকালাইজড কনটেন্ট আমরা উপস্থাপন করবো।
পাশাপাশি এই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্য আমরা বিশ্বের কাছে তুলে ধরব। উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পর বাংলাদেশেও ট্রাভেলএক্সপির অবস্থান সুদৃঢ় হলো বলে জানায় রিয়েলভিউ কর্তৃপক্ষ। |
8518c4c0-25ec-49d7-9ae9-f2b448f36f71 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালকদের জরিমানা কমিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কমিশনের নিয়মিত সভায় ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকদের জরিমানা অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে গত ১৯ এপ্রিল কোম্পানির ১৪ পরিচালককে ২ লাখ টাকা করে মোট ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে জরিমানা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে কমিশন সম্প্রতি জনপ্রতি জরিমানা অর্ধেকে অর্থাৎ ১ লাখ টাকায় নামিয়ে আনে। |
27db0fb2-607e-4990-9e1d-310cfd393d74 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে ৫ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বর্তমানে এই ঋণ ১০ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ এক লাখ ২০ হাজার টাকা পান সরকারি চাকরিজীবীরা। ইতোমধ্যে এসব সুবিধা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে দেয়া হবে বিশেষ রেয়াত সুবিধা। এছাড়া নতুন এ বেতন স্কেলে একজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৬০ থেকে ৮০ মাসের বেতনের সমান গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন। সেই হিসেবে বিভিন্ন গ্রেড অনুযায়ী ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত হবে।
এতে দেখা যায়, সর্বনিম্ন গ্রেডের (গ্রেড-২০) একজন কর্মচারী সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা এবং গ্রেড-১-এর একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া ২০ জনের একটি গ্রুপ করে জমি কেনার জন্যও ঋণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গৃহনির্মাণ ঋণ যাতে অন্য খাতে ব্যবহার না হয় সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এই নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গৃহনির্মাণ ঋণের ব্যাখ্যায় পে-স্কেলে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১৫ লাখ হলেও এর মধ্যে আবাসন সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ ভাগ। এছাড়া স্থান ভেদে বাসা ভাড়ার হারের তারতম্য রয়েছে, যে কারণে চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশকে সরকারি আবাসিক সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া দেখা গেছে সর্বচ্চ শ্রেণি থেকে সর্বনিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত সকল স্তরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা খুব কম প্রদান করা হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করে সরকার স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ চালু ও ফ্ল্যাট নির্মাণে বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সভায় নতুন বেতন স্কেল অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সুত্র: জাগে নিউজ |
d701b663-4b10-45b6-81b5-35de37cae286 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর না বাড়লেও লেনদেনের শীর্ষে ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। সারা দিনে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিটির ৫ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিন শেষে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকেই অলিম্পিক শেয়ারের দর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। আজ সর্বশেষ ৩৬০ টাকায় কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়, ১৪ জানুয়ারি যা ছিল ২৪৮ টাকার ঘরে। এদিকে আজ লেনদেন বাড়লেও দিন শেষে শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত এক বছরে অলিম্পিক শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৬৬ টাকা।
২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ ও ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় অলিম্পিক।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫২ পয়সা। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’।
জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মূল পণ্য বিস্কিটের উত্পাদনসক্ষমতা বাড়াচ্ছে অলিম্পিক। অন্যদিকে বলপয়েন্ট কলম, সেরেল বার ও চাটনির মতো গৌণ পণ্যগুলোর উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ড্রাইসেলস ব্যাটারি কোম্পানিটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, যার উত্পাদন অব্যাহত রয়েছে।
১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৯০ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৯ দশমিক ২২, বিদেশী বিনিয়োগকারী ৩৯ দশমিক শূন্য ৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার। |
eb8f80cb-f5db-4d2c-8103-81d2e1d9b0db | প্রশান্ত কুন্ডু, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাসে গত সপ্তাহে প্রধান সূচক ও লেনদেন। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাসে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগমুখী হওয়ার চিন্তা ভাবনা করেছে। বর্তমান বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সাথে সাধারন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয় করছেন। যার ফলে বাজার স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
টানা কয়েক সপ্তাহে দরপতনের পর ইতিবাচক ধারায় ফিরছে দেশের পুঁজিবাজার। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে বেড়েছে প্রধান সূচক ও লেনদেন। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন ও পিই রেশিও। তবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ (এক্সপোজার) সমন্বয়ের বিষয়টি সমাধান হওয়ায় আস্থা ফিরে পাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ফলে হতাশা কাটিয়ে এখন বাজারে সক্রিয় হচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোরও ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতে আরো ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন দেশের পুঁজিবাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত শনিবার (১৬ জুলাই) সরকারি ছুটি বাতিল করায় বিগত সপ্তাহে ছয় কার্যদিবস লেনেদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবসে (শনিবার) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮১২ কোটি ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৮১২ টাকা এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ২৮৪ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৭ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা শূণ্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার হয়েছে ৩৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৫৫৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। তবে শরিয়া সূচক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১৪ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৫৮ পয়েন্টে বেড়ে ১ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে দশমিক ৫৪ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৩৭ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে দশমিক ৪৮ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং শরীয়াহ্ সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ১৫ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। মোট লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। |
2e9ed511-81ef-45f5-809c-c500b7e86589 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের শেয়ারের দর গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থানে রয়েছে। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের বিক্রি কমে যাওয়ার পাশাপাশি কোম্পানির পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে গেছে। হেলথ ফুড ড্রিংকসের বিক্রি কমে যাওয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবসায়।
জানা গেছে, মূলত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হলেও বাংলাদেশে জিএসকের মূল পণ্য হরলিক্স, বুস্টের মতো হেলথ ফুড ড্রিংকস। গত বছর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে এসব পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় বিক্রি কমে গেছে জিএসকের। চলতি বছরও জিএসকে বাংলাদেশের বিক্রিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি যাচ্ছে। দ্বিতীয় (এপ্রিল-জুন) প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে গেছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, জুন পর্যন্ত তিন মাসে জিএসকে বাংলাদেশ মোট ১৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করে, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬৬ কোটি ৫৬ লাখ ২ হাজার টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে উত্পাদন ও অন্যান্য খরচ কিছুটা কমলেও কোম্পানির পরিচালন ব্যয় ২০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন সময়ে জিএসকের মোট পরিচালন ব্যয় হয় ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ার পরও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির ধাক্কা পড়েছে কোম্পানির মুনাফায়। ২০১৫ সালের এপ্রিল-জুন সময়ে জিএসকে বাংলাদেশের নিট মুনাফা ছিল ১৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা, চলতি বছরের একই সময়ে যা ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় নেমে আসে। একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১২ টাকা ২৯ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৭৬ পয়সায় নেমে যায়।
এদিকে সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে অর্ধবার্ষিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনেও। জানুয়ারি-জুন সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে। পণ্য বিক্রি কমেছে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
জানা গেছে, জিএসকে বাংলাদেশের মোট পণ্য বিক্রির ৭০ শতাংশ আসে হেলথ ফুড ড্রিংকস পণ্য থেকে। তবে এসব পণ্যের ব্যাপারে ভোক্তাদের সতর্ক অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধভাবে হেলথ ফুড ড্রিংকস আমদানি হওয়ায় ২০১৫ সালের শুরু থেকেই জিএসকে বাংলাদেশের বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাঁচ বছরের মধ্যে গত বছরই প্রথম পণ্য বিক্রিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখায় বাজার শেয়ারে শীর্ষস্থানে থাকা কোম্পানিটি। জিএসকে বাংলাদেশের হেলথ ফুড ড্রিংকস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে হরলিক্স, বুস্ট, মলটোভা ও ভিভা। তবে হরলিক্স একাই হেলথ ফুড ড্রিংকস বাজারের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দখল করে আছে।
২০১৫ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তা আস্থার ঘাটতি এবং অবৈধ আমদানির কারণে জিএসকে বাংলাদেশের হেলথ ফুড ড্রিংকস ব্যবসা কমেছে। অবৈধ আমদানি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগও নিয়েছে কোম্পানিটি। অবৈধ আমদানি প্রতিরোধে ক্রেতা-ভোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি নিজেদের সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি ভোক্তাদের আস্থা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানায় জিএসকে বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ।
প্রসঙ্গত ১৯৪৯ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে ওষুধ আমদানিকারক হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে জিএসকে। ১৯৬৭তে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয়ভাবে উত্পাদন শুরু করে। একপর্যায়ে মূলত হরলিক্সের মাধ্যমে ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) উত্পাদনেও শক্তিশালী অবস্থান করে নেয় জিএসকে বাংলাদেশ।
কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ২৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশই কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৭ দশমিক শূন্য ৭ ও মাত্র দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বশেষ ১ হাজার ৬৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় জিএসকে বাংলাদেশের শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২ হাজার ২৪৮ টাকা ও সর্বনিম্ন ১ হাজার ৬৩০ টাকা। |
8d01cc8c-ed30-41a3-8a98-770848a85819 | বিশেষ প্রতিনিধি, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষিঙ্গক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন টানা ৬ মাস ধরে বন্ধ। তারপরও বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। অথচ মাত্র ৫৪ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ প্রায় ১১০ কোটি টাকা।
এছাড়া বিভিন্ন চালকলের কাছে কোম্পানির দেনা ১৫ কোটি টাকা। এমন নাজুক আর্থিক অবস্থার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এতে শেয়ারের দামও বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে বোনাস শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে ১৪ কোটি তুলে নেয়া হয়। এ তথ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের।
এদিকে কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২০৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি কোম্পানিটির দায় দেখানো হয়েছে ২০৬ কোটি টাকা। এর অর্থ হচ্ছে কোম্পানির ইকুইটি শূন্য। এর আগে ১৭ জানুয়ারি কোম্পানির কারসাজি নিয়ে যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই কারসাজির বিষয়টি সামনে আসে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত করে বিএসইসিকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে ঋণ জালিয়াতির দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ২৮ মার্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গনি গালিবকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন বলে দাবি করছেন কোম্পানি সচিব মেহেরুন্নেছা রোজি। তবে রহস্যজনক কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এর আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএসইসি।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব মেহেরুন্নেচ্ছা রোজি বলেন, কোম্পানির অপারেশন কিছুদিন বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই আবার চালু হবে। এছাড়া অফিস বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, কর্মকর্তারা বাইরে মিটিং করছেন। আর কর্মকর্তারা না থাকায় পিয়ন দিয়ে অফিস খোলা রাখা যায় না। অফিস যথাসময়ে খোলা হবে বলে জানান তিনি।
তবে মহাব্যবস্থাপক আহসানুল হক তুষার বলেন, কোম্পানির উৎপাদন মাত্র দেড় থেকে ২ মাস বন্ধ। আগামী ১ আগস্ট থেকে উৎপাদনে যাব। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন রাইস মিল থেকে কুঁড়া সংগ্রহ করে তেল বানাই। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে তেল পাওয়া যায় না। এ কারণে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
খেলাপি ঋণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ঋণ পরিশোধ করা হবে। চালকলগুলো ১৫ কোটি টাকা নয়, মাত্র সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাবে। অফিস বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এজন্য আমাদের ঢাকার বাইরে মিটিং করতে হয়। তবে সোমবার থেকে অফিস চালু হবে।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ৭৪ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ২৫ কোটি টাকা এবং মাইডাস ফাইনান্সের ১৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি ঋণের টাকা পরিশোধ না করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এরপর কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপি হয়ে মুদ্রাবাজারে সংকট সৃষ্টি করছে, অপরদিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করেছে।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিএসইসিকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে বাজারে সুশাসন থাকবে না। কোনো কোম্পানি ঋণ পরিশোধ না করে লভ্যাংশ দেবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সবার আগের পাওনাদার হল ব্যাংক। আর শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির মালিক। স্বাভাবিক নিয়মে পাওনাদারের ঋণ আগে পরিশোধ করতে হয়।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বাজারে তালিকাভুক্ত হয় এমারেল্ড অয়েল। আর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম গত ৮ মাসে ৩০ টাকা থেকে ৭৮ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ হিসেবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ১৬০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪২১ কোটি টাকা।
কিন্তু সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানটির ইকুইটি ৮০ কোটি টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি দায় ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ দায় পরিশোধ করার পর শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটি ৯ কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে। এর অর্থ হল উচ্চ আর্থিক লিভারেজের (ঋণজনিত ঝুঁকি) কারণে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে পারে। এমনকি দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারে।
লভ্যাংশ বিতরণ : এদিকে ঋণখেলাপি থাকার পরও গত বছর তারা ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার। গত বছরের ২৮ অক্টোবর এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ইতিমধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ শেষ হয়েছে।
পরিচালকদের কারসাজি : অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধির পর বোনাস শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা। ১৩ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির ৪ উদ্যোক্তা ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৫শ’ শেয়ার বিক্রি করেছে। আর ওইদিনের দাম অনুসারে এই পরিমাণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মনোয়ারুল ইসলাম ১ লাখ ৭০ হাজার ৫শ’, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গনি ১১ লাখ ৬২ হাজার, উদ্যোক্তা মাহবুবুল গনি ৭৫ হাজার এবং ফারহানা গালিব ৪ লাখ ১৮ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে গত বছরের মার্চে ৮ লাখ ৮৮ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন ৫ উদ্যোক্তা। ওইদিন প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪০ টাকা। এ হিসেবে ওই পরিমাণ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সজন কুমার বসাক ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন, সৈয়দ হাসিবুল গনি গালিব ৫ লাখ ৮১ হাজার, অমিতাভ ভৌমিক ৫৫ হাজার, সৈয়দ মাহবুবুল গনি ৩৭ হাজার ৫শ’ এবং ফারহানা গালিব এমি ২ লাখ ৯ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি রাইস ব্যান্ড তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। বতর্মানে প্রধান কার্যালয়ে ঢাকার বিজয়নগরে। বাজারে এদের পণ্যের নাম স্পন্দন রাইস অয়েল। আইপিওতে (প্রাথমিক শেয়ার) আসার আগে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধ মূলধন ছিল ২৭ কোটি টাকা।
এরপর আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা নেয়। ফলে মূলধন দাঁড়ায় ৪৭ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে দুই দফা বোনাস শেয়ার দেয়ার পর বতর্মানে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ৫৫ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে ২১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুল গনি গালিব ও তার স্ত্রী ফারহানা গালিব এমির কাছে রয়েছে মোট শেয়ারের ৩২ দশমিক ০২ শতাংশ।
এছাড়া অন্য উদ্যোক্তারাও প্রায় একই পরিবারের সদস্য। এ হিসেবে পরিবারতান্ত্রিক কোম্পানিই এটি। অন্যদিকে উদ্যোক্তা শেয়ার ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ১২ দশমিক ৩৬ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ আর্থিক রিপোর্ট অনুসারে নেট অপারেটিং ক্যাশফ্লো ২ টাকা ৫৬ পয়সা নেতিবাচক। আর গত বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আয় ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার ছিল এলায়েন্স ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। |
3b865fd9-3778-43e3-af94-6fa6cb81096a | কে এ এম মাজেদুর রহমান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীর্ঘ দিন ধরে সম্পৃক্ত আছেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে। এই দীর্ঘ সময়ে দেখেছেন পুঁজিবাজারের উত্থান-পতন। পুঁজিবাজার সম্পর্কে রয়েছে তার দেশ বিদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা। তার অভিজ্ঞতার কিছু বিষয় শেয়ার করেছেন শেয়ারবার্তার পাঠকদের জন্য।
দীর্ঘদিন থেকে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক। পুঁজিবাজারের উত্তরনের জন্য কাজ করছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে পুঁজিবাজারের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলাপ হয় শেয়ারবার্তার। একান্ত আলোচনায় পুঁজিবাজারের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কথোপকথনেরে চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে পার-ডে টার্নওভার (প্রতিদিন লেনদেন) আড়াই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
লেনদেন খরায় বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাজটা ভালভাবে করতে পারলে সর্ব পর্যায়ে পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে। পাশাপাশি আন্তজার্তিক পুঁজিবাজারেও ডিএসই অন্যতম রিজিওনাল স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত হবে। তবে বর্তমান বাজারে এই কাজটি করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। ডিএসইর এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নিজ কার্যালয়ে পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি, বাজারকে আরো গতিশীল করতে নতুন পরিকল্পনা এবং তার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি।
প্রত্যাশার এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করতে পারলে, ২০১০ সালে ধসের পর থেকে প্র্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসা হারিয়ে চরম কষ্টে দিন পার করা ব্রোকারেজ ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটবে বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে ব্যাংকিং সেক্টরে তিন দশকের বেশি সময় অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বন্ধুসুলভ এই মানুষটি। পুঁজিবাজারে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের অনুভূতি প্রসঙ্গে মৃদু হাসি দিয়ে বলেন, ‘এক কথায় দারুণ। আমি কমর্ফোট ফিল করছি।’
তিনি বলেন, আগে আমি ব্যাংকিং সেক্টরে কাজ করলেও পুঁজিবাজারকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আশা করছি, আমার বিগত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কিছু করতে পারবো।
বাজারের বর্তমান অবস্থাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? প্রশ্নের জবাবে নতুন এমডি বলেন, এই মুহূর্তে বাজার স্থিতিশীল আছে ঠিকই। কিন্তু এখান থেকে বাজারে উন্নতি হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারের পরিধি, লেনদেন ও সার্বিক অবস্থার আরো উন্নতি যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বাজারে যাতে বিনিয়োগকারীরা কমফোর্ট ফিল করে, বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয় সেই চেষ্টাই আমরা করছি। নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুতই বাজারে চাঞ্চল্য তৈরি হবে।
এমডি হিসেবে ডিএসইকে নিয়ে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএসইকে ওয়ার্ল্ড ক্লাস এক্সচেঞ্জে পরিণত করবো। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ডিএসইতে কমপক্ষে প্রতিদিন আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন করতে হবে। আশা করছি, আমরা এই বেঞ্চমার্কসের বেশি লেনদেন করবো।
এমডি বলেন, ইউনিক পরিকল্পনার সাথে বড় দায়িত্ব হলো ডিমিউচ্যুয়ালাইজের যেসব স্কিম রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার তথা কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত সময়ে আনা। বিদেশিদের মধ্য থেকে ১জন কিংবা একাধিক পার্টনার আনতে পারলে স্টক এক্সচেঞ্জ দুইভাবে উপকৃত হবে। প্রথমত স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারের কাছ থেকে বিনিয়োগের পাশাপাশি টেকনোলজি সার্পোট পাবে ডিএসই। দ্বিতীয়ত ডিএসই ভাল প্রাইজও পাবে। বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।
সর্বোপরি কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা আসলে ডিএসই’র ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টক এক্সচেঞ্জ পরিণত হতে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা এমডির।
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ঠিক কোন কাজগুলো করতে চান? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু আস্থা অর্জন করলে বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি বাজার সংশ্লিষ্ট সবাই পুঁজিবাজার বিমুখ না হয়। যাতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারাতে না হয়, ততটুকু পরিমাণে আস্থা অর্জন করবো, আশা করি।
এছাড়া প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের মধ্যে সবাইকে পুঁজিবাজার সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণা দেব। জ্ঞানভিত্তিক বাজার গঠনের মাধ্যমে মার্কেটকে যোগ্য করে তুলবো। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত এবং বাজারের গুণগত পরিচালনা নিশ্চিত করা হবে।
দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে আসার বিষয়ে তাদের অনাগ্রহ রয়েছে, পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে আনা হচ্ছে না।এর দায় কার এমন প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, মেঘনা ও যমুনা ব্রিজ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৪ কোটি টাকা আয় হয়, একইভাবে পদ্মা ব্রিজ থেকেও আয় হবে।
এটিকে বাজারে আনা গেলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে। রেলওয়ে ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে আসতে পারে। কিন্তু এ উদ্যোগ কে নিবে? তবে মার্কেট মেকাররা ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এ উদ্যোগ নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আনলে আমরা সহযোগিতা করবো। আগে শেয়ার বাজারে শুধু মূলধন নিয়ে কাজ করা হত আর এখন নতুন বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে আসলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে বলে জানান তিনি।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনিয়োগে স্বচ্ছতা আনার জন্য যথেষ্ট আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। আমরা সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগও করছি। এখন যে সব বিনিয়োগকারী দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করবে তারা লাভবান হবে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা অর্জনের চেষ্টা করে যেতে হবে। পাশাপাশি কর্পোরেট গভার্নেন্স নিশ্চিত করতে হবে। |
f3139729-3656-4fab-b5c7-90038b5dbbd4 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের লটারীর তারিখ আগামী ১০ আগষ্ট বুধবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি বিএসইসির কোনো শর্ত না থাকে তাহলে ১০ আগষ্টই লটারী হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির সুত্রে জানা গেছে। ১০ আগষ্ট সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানি জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুলাই জানা যাবে আইপিওতে কত গুণ আবেদন পড়েছে। এর আগে ১০ জুলাই রোববার থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় এবং অনিবাসী-উভয় ধরনের বিনিয়োগকারীকে এ সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়।
কোম্পানিটির প্রতি ৫০০ শেয়ার নিয়ে এর মার্কেট লট করা হয়। তাই একটি আবেদনের জন্য ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়ছে আবেদনকারীকে। এর আগে গত ১৯ মে বিএসইসির ৫৭৩ তম কমিশন সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করছে কোম্পানি। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ফাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
৩০ জুন, ২০১৫ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এ টাকা দিয়ে মেশিনারিজ ক্রয়, কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। |
a9301213-1a38-4a9d-9503-fc23dd09697a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে টালমাতাল পরিস্থিতিতে লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় দরপতন অব্যাহত ছিল। এর ধারাবাহিকতায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকের লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। অতীতে মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তব্য ছিল। এবার মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নেই। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বাজারের গতি পর্যবেক্ষণ করছে। আর এ কারণেই বাজারে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় দরপতন ছিল বলে মনে করছেন তারা। তবে ভবিষ্যতে মুদ্রানীতিতে সম্পর্কে পুঁজিবাজারে সুনির্দিষ্ট ব্ক্তব্য প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ২৮৪ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৭ টাকা। বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২২৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৯ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ।
এদিকে ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৩৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে চেয়ে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। আগে সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরীয়া সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১১ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে কমে ১ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৩৪ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৪ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৩৩ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। |
28f2d003-6cfc-413e-8348-07bfbfa814f4 | প্রশান্ত কুন্ডু , শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের লাইসেন্স শিগগিরই ফিরে পাচ্ছে । বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ কোম্পানির লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বিষয়টি এখন পুরো নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। সরকার সিদ্ধান্ত দিলেই বীমা কোম্পানিটি তাদের লাইসেন্স ফিরে পেতে আর বাধা থাকবে না।
তবে এজন্য কী করা যেতে পারে, তা জানতে চেয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠিও দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মূলত এ খবরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাড়ছে এ কোম্পানির শেয়ারদর। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিআরএ’র এক সদস্য বলেন, সরকার চাইলে যেকোনো সময় এ কোম্পানির লাইসেন্স ফেরত দিতে পারে। এতে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কোনো আপত্তি নেই।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ টাকায়। এতে কোম্পানি উঠে আসে দরবৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে। গতকাল দিনভর এ শেয়ারের দর ১২-১৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। আগের কার্যদিবসের এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১১ টাকা ৯০ পয়সা। এদিন ৭৭ বারে কোম্পানিটির মোট ৫৪ হাজার ৭৭৭টি শেয়ার লেনদেন হয়।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুনঃবীমা দাবি বাবদ সাধারণ বীমা করপোরেশন (্এসবিসি) থেকে ২১৫ কোটি টাকা পাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। এ অর্থ পরিশোধ করা হবে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসকে। সম্প্রতি এ বিষয়ে অনাপত্তি জানিয়ে এসবিসি বরাবর চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ।
এসবিসির মূল্যায়ন অনুযায়ী, স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের বীমার ২১৫ কোটি টাকা এসবিসিতে পুনঃবীমা করেছে স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্স। এ ২১৫ কোটি টাকাই অগ্নিবীমা দাবি বাবদ দেয়া হবে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সকে। যদিও স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের দাবি, তারা ৪৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বীমা করেছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে। অবশিষ্ট অর্থ স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সকেই পরিশোধ করতে হবে।
এসবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামীম আখতার বলেন, আইডিআরএ যেহেতু অনাপত্তি দিয়েছে, তাই দাবিটি পরিশোধ করতে কোনো বাধা নেই। তবে এজন্য একটু সময় দরকার।
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ১ হাজার ২০২ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস। যদিও এর কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো সংস্থা।
১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বীমা করা হয়েছে বলে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস দাবি করলেও তা মিথ্যা প্রমাণ হয়। পরবর্তীতে ৪৫০ কোটি টাকার বীমা রয়েছে বলে জানায় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু আইডিআরএর তদন্তে তাও সঠিক নয় বলে প্রমাণ হয়।
নানা অনিয়মের কারণে গত ২১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে আইডিআরএ। পরে কোম্পানি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আইডিআরের নির্দেশনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় আইডিআরএ।
পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গত ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেন আপিল বিভাগ।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১০ দশমিক শূন্য ৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও লভ্যাংশ দেয় এ কোম্পানি। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা, এনএভি ১৭ টাকা ৫০ পয়সা ও কর পরবর্তী মুনাফা ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। |
efba1cf6-8471-4a1d-8f46-2abaf1c05292 | ইসমাত জেরিন খান: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। বাজারের আচরণ অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও অস্বাভাবিকভাবে কিছু কিছু কোম্পানির লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ভয় রযেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩২৫ টি কোম্পানির ১০ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩৪ টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। ডিএসই’তে মোট লেনদেনের পরিমাণ ৪৪২ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৪২ টাকা।
তবে বিনিয়োগকারীরা যখনই বাজারের প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করে তখনই কারসাজিকারকদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য বিনিয়োগকারীরা আস্থার সাথে বিনিয়োগ করতে পারে না। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহের পুঁজিবাজারের সামগ্রিক চিত্র অনেকটাই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করছে।
সপ্তাহের শেষ দিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১.৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৪৫৭৭.৫৭ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৯৫.২০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক ০.৪৪ পয়েন্ট কমে ১১২৩.০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত ৩২৫ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার।
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উত্তরণের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, অনেক কোম্পানির এবছরের জুনে বছর শেষ হয়েছে। আর এসকল কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসবে। আার এমাসের শেষে অনেক কোম্পানি তাদের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
একারণে পুঁজিবাজারও উর্ধ্বমুখি রয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজার ভালো থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে বাজেট ঘোষণা। গত অর্থবছর শেষ হওয়ার সময় বজেট ঘোষণা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা নিয়ে জুন মাস পর্যন্ত মানুষের মধ্যে যে নেতিবাচক আশংকা ছিল তাও কেটে গেছে। যার কারণে যারা বাজেট পরবর্তী পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষণে ছিল তারাও বাজারের প্রতি আস্থাশীল হয়েছে। আর এরপর অনেকেই বাজারে লেনদেন করছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছেন। আর এবারের মুদ্রানীতিতে গভর্নর শেয়ারবাজারের উন্নয়নের বিষয়ে কিছু মৌলিক পরামর্শ দিয়েছেন। আর এতে বিনিযোগকারীদের মধ্যে মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তাও অনেকাংশে কেটে গেছে।
তাই এবছরের ছয়মাসের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা হয়েছে তার পরবর্তী সপ্তাহে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর এবারের ঘোষণায় পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানির মূলধন উত্তোলন প্রক্রিয়া সহজ করার পরামর্শ দেয়ায় বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছে পুঁজিবাজারের প্রতি নতুন গভর্নর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিবাচক রয়েছে। আর এটি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আস্থাশীল হতে সাহায্য করছে।
এদিকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ইন্সুরেন্স কোম্পানি ছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোকে ৩০ জুন ফাইনান্সিয়াল ইয়ার ক্লোজ করতে বলা হয়েছে। আর একারণে অনেক কোম্পানি তাদের অর্থবছরের সমাপ্তি অন্যান্য সময়ের সাথে জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর একারণে এবছর প্রকৃত পক্ষে কোন কোন কোম্পনির ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ১৮ মাসে বছর হচ্ছে। আর এত লম্বা বছরের কারনে এসকল কোম্পানির এবছর প্রফিটের পরিমাণও বাড়তে পারে।
আার ভালো ডিকলারেশনের আশায় কোম্পানগিুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদর আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেনের ভিত্তিতে তিতাস গ্যাস, বিএসসিসিএল, সিঙ্গার বিডি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, এমজেএল বিডি, বিএসসি, এ্যাকমি ল্যাব, স্কয়ার ফার্মা ও ব্র্যাক ব্যাংক প্রধান ১০টি স্থান দখল করে নিয়েছে। তবে ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট ভালো থাকার কারনে ব্যাংক খাতের শেয়ার বিনিয়োগকারীদর চাহিদার মধ্যে চলে এসেছে।
তবে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি, এক্সিম ১ম মি. ফা., স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুঃ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, গ্রীনডেল্টা মি. ফা., জিকিউ বল পেন, ডিবিএইচ ১ম মি. ফা., সিঙ্গার বিডি, রংপুর ফাউন্ড্রি ও ১ম জনতা মি. ফা. প্রধান ১০টি কোম্পানি ছিল। যেখানে এসপ্তাহে অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার তালিকা ছিল অনেক বেশি।
পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার তালিকায় ছিল রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, জুট স্পিনার্স,জেমিনি সী ফুড লিমিটেড, ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেডের শেয়ার দর। এসকল কোম্পানি নিয়ে কারা খেলছে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।
যখন বাজারের গতি স্বাভাবিক ধারায় চলে আসছে এবং বিনিয়োগকারীরাও আস্থাশীল হচ্ছে ঠিক তখন কারসাজিকারকদের সক্রিয়তা পুঁজিবাজারকে নেতিবাচক করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একটানা রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। গত ১০ দিনে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
এত অল্প সময়ে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর এখনো কোনো তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ। গত ১০ কার্যদিবস আগে কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ২৯৩ টাকা ৬০ পয়সা। আএর আগে কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬০০ টাকা ৪০ পয়সায়। এর আগে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে ২১ জুলাই কোম্পানিটিকে নোটিশ দেয়া হয়।
কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, শেয়ার দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। কিন্তু এরপরও দর বৃদ্ধি থেমে নেই। গত একমাসে কোম্পানিটির ২৮৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬০০ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। কিন্তু কেন এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ছে। কে বা কারা এগুলোর সাথে জড়িত তা নিযে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কোন কিছুই জানানো হয়নি বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে অস্বাভাবিকহারে শেয়ার দর বাড়ার জন্য কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে জুট স্পিনার্স কোম্পানি। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, দর বৃদ্ধির পেছনে কোন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। আবার কোন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে বলে জানিয়েছে জেমিনি সী ফুড লিমিটেড।
আর ইস্টার্ণ ক্যাবলস লিমিটেডের শেয়ার দর বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল যেখানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সার্বিলেন্স সফটওয়ারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক কোন লেনদেন হলেই তা তাদের নজরে আসার কথা সেখানে দিনের পর দিন অস্বাভাবিক লেনদেন কেন হচ্ছে সে ব্যাপারে বিএসইসি এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। আর দুটো স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে শুধু একটি মাত্র চিঠি কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর কোম্পানরি পক্ষ থেকে দায়সারাভাবে জানানো হচ্ছে দর বৃদ্ধির পেছনে কোন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
তবে কি বছরের পর বছর এভাবেই বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হবে? আর এই কুচত্রী সুযোগ সন্ধানী মহলের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘটনা ঘটার আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থাশীল হবে আর কারসজিকারকরাও সতর্ক থাকবে।
লেখক : বিজনেস এডিটর, এটিএন বাংলা। একাধারে সাংবাদিক, লেখক, সংবাদপাঠিকা এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালক। এছাড়াও অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার বিষয়ে রয়েছে তার সংবাদ ও টেলিভিশন টক শো। সদস্য, এফবিসিসিআই। কো-চেয়ারম্যান এসএমই, পাট, ইয়াং এন্টারপ্রাইনার ও পুঁজিবাজার বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটি। বর্তমানে এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের সার্টিফাইড প্রশিক্ষক এবং উদ্যোক্তা। |
0be1150f-bf73-4a09-b164-c307430d0a82 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহ জুড়ে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাসে এ সপ্তাহে সুচক ও লেনদেন বাড়ছে। দীর্ঘ দিন পর পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাসে পুরানো বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কারসাজি চক্র থেমে নেই। ফের জালিয়াত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে।
কয়েক লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েও একইভাবে শেয়ার কারসাজি করে চলছে তারা। প্রতিদিন কারসাজির তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন কোম্পানির নাম। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বিএসইসির কিছু কর্মকর্তা যোগসাজশ করে শেয়ার কারসাজি করছেন। এবার তারা বেছে নিয়েছেন স্বল্প মূলধনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসানোর আরেক দফা আয়োজন চলছে পুঁজিবাজারে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ব্যাপক কারসাজির ঘটনা ঘটে। এ জন্য বিএসইসি-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন কারসাজিকারী চক্রের সদস্যরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে কারসাজির তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম।
এদিকে পুঁজিবাজার কেন পথে হাটছে, এ প্রশ্ন খোদ বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে। ফের পেছনের দিকেই হাঁটছে দেশের শেয়ারবাজার। স্থিতিশীলতার এই চেষ্টায় যখনই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বাঁধেন, তখনই কারসাজির হোতারা আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কারসাজির বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু নয় বলে ধারণা করছেন বাজার-বিশেষজ্ঞরা।
তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এ স্থিতিশীলতার আভাসে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাজার নিয়ে পুরোপুরি আস্থা ফিরে আসবে। বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি কিছুটা হলেও ফিরে পাবে। এমন প্রত্যাশার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে সপ্তাহজুড়ে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সব সূচকের উন্নতি ঘটেছে। ফলে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। এর ধারাবাহিকতায় বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ, বাজার মূলধন ও পিই রেশিও।
দীর্ঘদিন দরপতনের পর শেয়ার মূল্য অনেকটা কমে গেছে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন। এতে করে বিনিয়োকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজারের প্রতি আস্থা ফিরে আসায় বাজারে সক্রিয় হচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে এক্সপোজার সমস্যা সমাধান হওয়ায় ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোরও ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে আরো ইতিবাচক হবে দেশের পুঁজিবাজার বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক বিনিয়োগকারীদের মতে, পুঁজিবাজার বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করছে। বাজারে এ গতি অব্যাহত থাকলেও ফের বিনিয়োগকারীদের পদচারনায় মুখরিত হবে সিকিউরিটিজ হাউজ। তবে বর্তমান বাজারে কারসাজি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সজাগ থাকতে হবে। কারন কওেয়কটি কোম্পানির শেয়ারের দর টানা বাড়ছে। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক নয়। |
e326a836-c28e-4c63-986b-10dbd058aa90 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দুই সিমেন্ট জায়ান্ট লাফার্জ সিমেন্ট ও হোলসিম নিজেদের মধ্যে একীভূত হলেও বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। এখানে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড অপর কোম্পানি হোলসিম লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করবে। সহজ কথায়, হোলসিমকে কিনে নিবে লাফার্জ।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বব্যাপী কোম্পানি দুটি একীভূত হচ্ছে।বাংলাদেশসহ দুয়েকটি দেশ ছাড়া বাকী সব জায়গায় ইতোমধ্যে একীভুতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করেছে ফরাসি কোম্পানি লাফার্জ ও সুইস কোম্পানি হোলসিম।
জানা গেছে, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে দুটি কোম্পানিই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত থাকায় সহজেই একীভূতকরণ করা গেছে।কিন্তু বাংলাদেশে লাফার্জ সুরমা তালিকাভুক্ত হলেও হোলসিম পুঁজিবাজারের বাইরে আছে। তাই কোম্পানি দুটির মধ্যে মার্জার সম্ভব নয়। তাই লাফার্জ সুরমা হোলসিমকে কিনে নিচ্ছে।
হোলসিমের কোনো কোনো শেয়ারহোল্ডার তাদের শেয়ার বিক্রিতে অনীহা দেখানোয় মাঝখানে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কিছুটা গতিহীন ছিল।তবে ওই সমস্যার সমাধান হওয়ায় প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে হোলসিমের সম্পদ মূল্য কত নির্ধারণ হয়েছে, লাফার্জ কীভাবে টাকার সংস্থান করবে সে সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি।
এদিকে বিশ্বের অনেক দেশে স্থানীয় আইনের শর্ত অনুসারে মার্জারের জন্য উভয় কোম্পানিকে কিছু সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। কোনো কোনো দেশে নিজেদের একাধিক প্ল্যান্ট পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।
উল্লেখ, প্রতিযোগিতা আইন একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিরোধ আইনসহ এ জাতীয় আইনে একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ উৎপাদনের সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। বাজারে মোট চাহিদার নির্ধারিত অংশ পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ করতে পারে প্রতিটি কোম্পানি। এককভাবে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করা আইনে নিষিদ্ধ।
লাফার্জ ও হোলসিম-দুটোই বিভিন্ন দেশে বড় আকারের উৎপাদক ছিল। দুটি কোম্পানি একসাথে হয়ে যাওয়ায় এদের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা আইনে নির্ধারিত সীমার বেশি হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে মার্জারের অনুমতি পাওয়ার জন্য কিছু কারখানা বিক্রি করে উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে হয়েছে।
অন্যদিকে ব্যাংক ঋণের ভার কমিয়ে আনতেও কোথাও কোথাও কিছু সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। সম্প্রতি চীনে ১৭টি কারখানা ও চারটি গ্রাইন্ডিং মিল বিক্রি করতে হয়েছে লাফার্জহোলসিমকে। এর আগে ভারতেও কয়েকটি কারখানা বিক্রি করতে হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে এমন কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না লাফার্জকে। তাই কোনো সম্পদ বিক্রি করারও প্রয়োজন হবে না। |
8f8d3081-6604-4ca4-ace8-a01056b08c46 | প্রশান্ত কুন্ডু, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। গত এক মাস ধরে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাস দিলেও ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়েনি। ফলে এসব কোম্পানির প্রতি দিন দিন বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
তবে মানুষের দৈনন্দিক ব্যবহারে বিশুদ্ধ পানি ও কনডেন্সড দুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। রপ্তানিমুখী কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি মেঘনা গ্রুপ ফ্রেশ পানি, ফ্রেশ কনডেন্সড মিল্ক, ফ্রেশ ক্রিম, পামওয়েল, ভেজিটেবল অয়েল ও ফ্রেশ চা মানুষের চাহিদার বড় অংশই মেটায়।
বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়লেও পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত এই গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার বছরজুড়েই অভিহিত মূল্যের নিচে। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। কোনো লভ্যাংশ পায়নি বিনিয়োগকারীরা। ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত কম্পানিটি জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৬৮টি কম্পানির শেয়ার অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে। মৌল ভিত্তির কম্পানি বিবেচিত কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ারও রয়েছে অভিহিত মূল্যের নিচে। এসব কম্পানির মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড শীর্ষে। এই খাতের ৩৫টি কম্পানির মধ্যে ২৯টি ফান্ডের ইউনিট অভিহিত মূল্যের নিচে।
বস্ত্র খাতের ৪৫টির মধ্যে অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে ১০টি শেয়ার। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টির মধ্যে আটটি, ব্যাংক খাতের ৩০টির মধ্যে সাতটি, ইনস্যুরেন্স দুটি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ একটি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক পাঁচটি, প্রকৌশল একটি, ওষুধ ও রসায়ন দুটি, কাগজ ও মুদ্রণ একটি, সিরামিক একটি এবং ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের একটি কম্পানির শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে। আর এসব কম্পানির বেশির ভাগ শেয়ার গ্রাহকই সাধারণ বিনিয়োগকারী।
কম্পানিগুলোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর আর্থিক প্রতিবেদন বেশ সমৃদ্ধই ছিল। বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশও দিয়েছে। কয়েক বছর আর্থিক প্রতিবেদন নেতিবাচক হওয়ায় এসব কম্পানির শেয়ারে ভাটা পড়েছে। কোনো লভ্যাংশ না পেয়ে শেয়ার থেকে দূরে সরছে বিনিয়োগকারীরা। অভিহিত মূল্যের নিচে থাকা কম্পানিগুলোর লেনদেনও কম হচ্ছে। লভ্যাংশ না দিতে পারলে পুঁজিবাজারে কোনো কম্পানিকে ‘জেড‘ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়। লভ্যাংশ প্রদানের ভিত্তিতে ক্যাটাগরিও পরিবর্তিত হয়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে, তালিকাভুক্তির শুরুতে কম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ভালো থাকলেও পরবর্তী সময়ে কমছে। কম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ভালো বিবেচনায় বিনিয়োগকারীরাও লভ্যাংশের আশায় সেদিকে ছুটে যায়। শেয়ারের চাহিদাও বেশি থাকে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে কম্পানি কৌশল অবলম্বন করে আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসান দেখায়। যেন বিনিয়োগকারীকে কোনো লভ্যাংশ দিতে না হয়। আবার সত্যিকার অর্থেই কোনো কোনো কম্পানির ক্ষতিও হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারী যেন ক্ষতিতে না পড়ে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানির শেয়ার দাম অভিহিত মূল্যের নিচে থাকা বাজারে ভালো লক্ষণ নয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সময় শেয়ার দাম অতি মূল্যায়নের ফল এটি। সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে দাম নির্ধারিত না হওয়ায় শেয়ার দাম কমে যায়।
গত ১৭ জুলাই ইভিন্স টেক্সটাইলের লেনদেন শুরু হয়েছে। ওই দিন ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কম্পানিটির শেয়ার দাম সর্বোচ্চ ২৪ টাকায় লেনদেন হয়। ১৫ কার্যদিবস লেনদেনে কম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫.১ টাকায়। তালিকাভুক্তির দ্বিতীয় দিনেই লুজারের শীর্ষে ওঠে কম্পানিটি। এখনো ধারাবাহিকভাবেই কমছে শেয়ার দাম।
বিনিয়োগকারীরা বলছে, পুঁজিবাজারে মৌল ভিত্তির কম্পানিকে আনা প্রয়োজন। শুরুতে কম্পানি বাজারে আসার অনুমোদন পেতে আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখায়। আসার পর শেয়ারের চাহিদা বেশি দেখালে প্রতিবেদন খারাপ হওয়া শুরু করে। লভ্যাংশ দিতে চায় না। যার দরুণ প্রত্যাশা নিয়ে কেনা শেয়ারে ক্ষতিতে পড়তে হয়।
বাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘মৌল ভিত্তির কয়েকটি কম্পানিও অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে। শেয়ার দাম অতি মূল্যায়িত হওয়ায় এসব কম্পানির শেয়ার দাম অভিহিত মূল্যের নিচে। তালিকাভুক্তির সময় শেয়ারের যথাযথ দাম নির্ধারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কঠোর হওয়া উচিত।’
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের পকেটের টাকা নেওয়ার জন্য যত ধরনের ফন্দি আছে তার সবই করছে শেয়ারবাজারের নীতিনির্ধারণী মহল। একবার টাকা উঠিয়ে নিতে পারলে আর বিনিয়োগকারীদের কথা তাদের মনে থাকে না।
সাধারণ মানুষের টাকায় বাড়ি-গাড়ী সবই করে। কিন্তু কোম্পানির শেয়ার দর কেথায় গেল তার আর খবর রাখে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও যেনো তাদেরই কেনা গোলাম। দর বাড়লে ব্যবস্থা নেয়, আর কমলে কোনো কথা নাই। আসলে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হলাম বলির পাঠা। এসব বিষয়ের সুরাহ দরকার বলে মনে করেন তিনি।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির শেয়ারদর অভিহিত মূল্যের নীচে নামলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো কিছু করনীয় নেই। এ বিষয়ে ডিএসই বা সিএসই চাইলে পদক্ষেপ নিতে পারে। আর কোন কিছু অস্বাভাবিক দেখলে তারা তা আমাদেরকে জানাবে। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু সরাসরি এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার থাকে না। |
6842f257-cc4b-4d28-b22b-bff7ebf35069 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের। এদিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৬১ শতাংশ।
রবিবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে সোমবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দাম বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২২.৯ টাকা। সোমবার দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১ টাকায়। এ দিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ২৩.২ টাকা থেকে ২৫.১ টাকায়।
দর বাড়ার শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— অ্যাম্বি ফার্মার ৮.৭২ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ৬.৮৪ শতাংশ, এপেক্স স্পিনিং এর ৬.৩৫ শতাংশ, ইষ্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৬.২৫ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজের ৬.১৯ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের ৬.০৯ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৪.৯২ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ৪.৮৩ শতাংশ, মিথুন নিটিং এর ৪.৭৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
caff71ad-54e2-4f38-8c62-94a212dc8fe8 | আমিনুল ইসলাম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দিনভর সুচকের উঠামার মধ্যে লেনদেন শেষ হলেও দিনশেষে প্রায় ১ পয়েন্ট সুচক বাড়ছে। তবে বাজারের এই উঠানামাকে স্থিতিশীল বাজারের লক্ষন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্বেষকরা।
তারা বলেছেন, বাজার একটানা উঠা যেমন ভাল নয়, তেমনি একটানা নামা ভাল নয়, বাজার উঠানামার মধ্যে থাকলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবে। আর বর্তমান বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক সহ সব শ্রেনীর বিনিয়োগকারীদের আন্তরিকতার বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেনে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গত কার্যদিবসের চেয়ে এদিন ডিএসইর লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইর। এদিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ১ পয়েন্ট বাড়লেও অন্য সূচকগুলো কমেছে। আর সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে।
আজ উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৮৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৬৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ০১ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১২১ পয়েন্টে এবং ৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১১৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিএসআরএম স্টিল, তিতাস গ্যাস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডিবিএইচ, বিএসআরএম লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ, ন্যাশনাল পলিমার, মবিল যমুনা এবং বিডি থাই।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে গত কার্যদিবসের চেয়ে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৫৬২ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫১ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৮৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, বেঙ্গল উইন্ডসর, তিতাস গ্যাস, বিএসআরএম লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংক, বিএসআরএম স্টিল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। |
35318058-1fbc-4ddd-9713-6f560a55809e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ারের দর কোন কারন ছাড়াই লাগাতর বাড়ছে। যা বাজারের জন্য অশনি সংকেত। এছাড়া এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন ভুমিকা নিচ্ছে না। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন বাজার নিয়ে বারবার কারা খেলছে। তাদের আসল উদ্দশ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা যার যতটুকু সাধ্য তা নিয়ে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু তারপরও কোথাও যেনো একটি গলদ থেকে যাচ্ছে এবং বাজার উঠতে গেলেই একটি অদৃশ্য শক্তি সূচকের পেছন থেকে নিচের দিকে টেনে ধরে। মূলত এই অদৃশ্য শক্তিটিই বার বার পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএসইসিতে নাকি অত্যাধুনিক সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার আছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বসানো হয়েছে এ সফটওয়্যার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ সফটওয়্যারের কাজ কি? সবচেয়ে বড় কথা হলো- যা খালি চোখে দেখলেই অস্বাভাবিক মনে হয় তার জন্য সার্ভিল্যান্সেরই কি প্রয়োজন?
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারগুলো ননমার্জিনেবল, বেশিরভাগের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) রয়েছে ৪০-এর উপরে। এসব শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। আর ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এসব শেয়ার কিনতে সিকিউরিটিজ হাউস বা মার্চেন্টব্যাংকগুলো ঋণ সরবরাহ করে না। কিন্তু তারপরও এসব কোম্পানির শেয়ারের দর প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যাকে ‘ব্যাকরণ বর্হিভূত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশ কিছু শেয়ারের দর লাগামহীন ভাবে বাড়ছে। এর মধ্যে শ্যামপুর সুগার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, সোনালি আঁশ, উসমানিয়া গ্লাস, মেঘনা পেট, নর্দার্ন জুটস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, জেমিনী সী ফুড ও লিবরা ইনফিউশন, রহিমা ফুড, দেশ গামেন্টন্স, আনলিমা ইয়ার্ন, বিডি অটোকার, আজিজ পাইপস, আনোয়ার গ্যালভাইনিজিং শেয়ার বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ছাড়া বাকিগুলোর পিই রেশিও ৪০-এর বেশি।
এসব কোম্পানির বেশিরভাগই লোকসানি, তাই আগামীতে আশানুরূপ ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করার সম্ভাবনাই বেশি। তবুও এক শ্রেণির কারসাজি চক্রের সদস্য সুযোগ নিচ্ছেন।
প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী, নন-মার্জিনেবল কোম্পানির দর বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণির চতুর বিনিয়োগকারী। তারা অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। বেশিরভাগই লোকসানি কোম্পানি বা পিই রেশিও মাত্রাতিরিক্ত।
কিছুদিন ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্প করপোরেশনের তিনটি প্রতিষ্ঠান রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, জিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগার মিলের শেয়ারদর বেড়েছে গড়ে ১০০ শতাংশেরও ওপর। কিন্তু সেদিকে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি-ও নিশ্চুপ রয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১০ জুলাই শ্যামপুর সুগার মিলের প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ছয় টাকা। রোববার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০০ শতাংশের ওপর। একইভাবে ১০ জুলাই ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ছিল ১৩০ টাকা। রোববার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৪ টাকা ৯০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা।
ডিভিডেন্ড ঘোষণাকে সামনে রেখে গত এক মাসে সোনালি আঁশের দর বেড়েছে ৪৫ টাকা। উসমানিয়া গ্লাসের দর বেড়েছে ৩৫ টাকা। আর নর্দার্ন জুটের দর বেড়েছে ১৩৫ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের।
কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫০১ টাকা। একই ধারায় লোকসানি প্রতিষ্ঠান লিবরা ইনফিউশনের দর বেড়েছে ১৪১ টাকা। কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মূল্যসংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিষয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
নিম্নমানের শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, এসব শেয়ারের দর বৃদ্ধি কখনও বাজারের জন্য ভালো খবর নয়, বরং এসব শেয়ারের দর বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে। বিনিয়োগকারীরা না বুঝে অনেক সময় এসব শেয়ারের পেছনে ছুঁটেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর ফল শুভ হয় না। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নরজদারি বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সর্তক থাকতে হবে। তারা সতর্ক থাকলে পুঁজি নিরাপদে থাকবে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে স্টার্লিং সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘কোনো বিশেষ খবর কিংবা গুজবে অনেক সময় এসব শেয়ারের দর বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় এসব শেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের সব সময় খেয়াল রাখা দরকার।’
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্চেন্ট ব্যাংক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, বাজারে অনেক ভালো শেয়ার থাকলেও বিনিয়োগকারীরা এখন স্বল্প সময়ে দ্রুত মুনাফা করার জন্য এসব শেয়ারের পিছে ছুঁটছেন। এটি বাজারের জন্য সুখের খবর নয়। |
daff0f20-c64f-43e6-9264-776673cf4b49 | শহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মনে করছে, বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে বাজারের বর্তমানে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। সেই সঙ্গে দেশী বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে বিনিয়োগে আসবে।
তাতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরেকটু সক্রিয় হবে। তাতে বাড়বে স্থানীয় বিনিয়োগও। বাজার সংশ্লিষ্টদের মাঝেও নতুন করে আশার সঞ্চার হবে। বিদেশী বিনিয়োগের পথে কোন বাধা আছে কী-না, এই বিনিয়োগ বাড়াতে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার ডিএসই সংশ্লিষ্ট ব্রোকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
ডিএসইতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ ও এমটিবি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকার হাউসের প্রধান নির্বাহীরা বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি বাধার কথা তুলে ধরেন। এর অন্যতম হচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা না করা।
অন্যটি লেনদেন স্যাটলমেন্ট। তারা বলেন, ব্রোকার হাউসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তথ্য-পরিসংখ্যান, গবেষণা রিপোর্ট বিদেশী ফান্ড ম্যানেজারের কাছে দেয়ার পরও তারা নিজেরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ দেখান। তাদের নিজস্ব কিছু জিজ্ঞাসা থাকে যেগুলো সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে জেনে পরিষ্কার হতে চান।
কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানি এতে সাড়া দেয় না। কোনভাবেই তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মিটিংয়ের সময় দেয় না। এই বৈঠকে ব্রোকার হাউসের নির্বাহীরা বলেন, কোম্পানিগুলো সহযোগিতা করলে বিদেশী বিনিয়োগ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারী ছুটির দিন ভিন্ন হওয়ায় লেনদেন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষ করে বৃহস্পতিবার এখানে যে শেয়ার কেনাবেচা হয় তার স্যাটলমেন্ট হয় সোমবার। শুক্রবার ও শনিবার বাংলাদেশে ছুটি। অন্যদিকে রবিবার অন্যান্য দেশে ছুটি থাকে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে না। তাই স্যাটলমেন্টের আগে তাদের কোন নির্দেশনা থাকলে সেগুলো কাজে লাগানো যায় না।
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান বলেন, তারা বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এরই অংশ হিসেবে রবিবার বিদেশী বিনিয়োগে জড়িত ব্রোকার হাউসগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হয়। তারা কিছু বিষয় তুলে ধরেছে। ডিএসই সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবে। |
1ebb0a30-0d20-47e3-8995-833b2e855102 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পিছিয়ে গেল। শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফাইল অসম্পূর্ণ থাকায় তা ফেরত পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
অর্থমন্ত্রণালয় থেকে রুপালী ব্যাংকের এমডি পদে নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা ছিল। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা সিইও পদে, আনসার ও ভিডিপি ব্যাংকের এমডি শামস-উল-ইসলামকে অগ্রণী ব্যাংকে এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমানকে রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগের সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রণালয়। কিন্তু সুপারিশে এমডিদের চাকরির মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা ফেরত পাঠানো হয়। ফলে আটকে যায় এমডি নিয়োগের প্রক্রিয়া।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক জানান, এমডি নিয়োগের সুপারিশপত্র অসমাপ্ত থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে তা দ্রুত সংশোধন করে আবারও পাঠানো হবে। এ জন্য দু’একদিন সময় লাগতে পারে। |
29eaa21e-5332-4ac4-9529-56c21ef1fc1b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড খাতের কোম্পানি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ইউনিট ফান্ডের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, গত ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত যে সব ইউনিট হোল্ডারদের নাম রেজিস্ট্রি তালিকাভুক্ত তারাই এ ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তির যোগ্য হবেন।
সভায় অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও খন্দকার আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিনিয়োগকারীদের লগ্নিকৃত অর্থের ভালো একটা রিটার্ন দেয়া এবং উচ্চমান ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা আমাদের মূল লক্ষ্য। বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞও প্রকাশ করেন তিনি।
ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, উদ্যোক্তা মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ট্রাস্টি এবং ব্র্যাক ব্যাংক কাস্টডিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। |
363e937d-6d59-435c-b159-94694397ad23 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ইসলামী বীমা কোম্পানীগুলো বাধ্যবাধকতা থাকলেও আশানুরূপ মুনাফা না থাকায় সরকারি বন্ড ও অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করছে না। পূর্ববর্তী নির্দেশ পরিপালন না করায় সম্প্রতি এসব কোম্পানিকে আবারো একই নির্দেশ-সংবলিত চিঠি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
বীমা আইন অনুযায়ী, বীমা কোম্পানিগুলোকে তাদের সংগৃহীত প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ সরকারি বন্ড ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু লাভজনক না হওয়ায় ইসলামী বীমা কোম্পানীগুলো এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে জানা গেছে। যদিও শেয়ারবাজার, সম্পত্তিসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে পলিসি ও শেয়ারহোল্ডারদের তহবিল বিনিয়োগে পিছিয়ে নেই কোনো কোম্পানিই।
জানা গেছে, এ বিষয়ে আগেও বিভিন্ন ইসলামী বীমা কোম্পানীকে নির্দেশ দেয় আইডিআরএ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে বিনিয়োগের নির্দেশ দিয়ে গত সপ্তাহে আবারো একটি চিঠি দেয় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
দেশে মোট ১১টি কোম্পানি ইসলামী ধারার বীমা ব্যবসা করছে। এর মধ্যে জীবন বীমা আটটি ও সাধারণ বীমা খাতের রয়েছে তিনটি কোম্পানি। ইসলামী জীবন বীমা কোম্পানিগুলো হলো— ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ, আলফা ইসলামী লাইফ ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ইসলামী সাধারণ বীমা কোম্পানি তিনটি হলো— ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ও ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স।
এ বিষয়ে আইডিআরএ সদস্য জুবের আহমেদ খান বলেন, আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। ইসলামী কোম্পানিগুলোর এ ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে তাগাদা দিয়ে আমরা তাদের একটি চিঠি দিয়েছি।
সরকারি বন্ডে বিনিয়োগে অনীহা সম্পর্কে বিশ্লেষক ও খাতসংশ্লিষ্টরা বরাবরই বলে আসছেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়নি। মূলধনি মুনাফার সুযোগ না থাকা ও তুলনামূলক নিম্ন সুদের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানও বন্ড ও সরকারি অন্যান্য সিকিউরিটিজে আগ্রহ দেখায় না। কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অন্যান্য খাতে তহবিল বিনিয়োগেই তাদের আগ্রহ বেশি।
এ প্রসঙ্গে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের হেমায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা ইসলামী শরিয়া মোতাবক বিনিয়োগ করি। ইসলামী বন্ডে সুদের পরিমাণ কম হওয়ায় আমরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হই। তবে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইসলামী বীমা কোম্পানিগুলো সুদভিত্তিক বিনিয়োগ করতে পারে না। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইসলামী বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু ইসলামী বন্ডে মুনাফার হার সাধারণত ৫ শতাংশের নিচে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই এতে উত্সাহ পায় না।
১৯৩৮ সালের বীমা আইন অনুযায়ী, জীবন বীমা গ্রহীতার অংশের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ থাকতে হবে সরকারি বন্ডে। বাকি ৭০ শতাংশ অন্যান্য ঝুঁকিমুক্ত খাতে। আইনে বলা হয়েছে, এই ৭০ শতাংশ যেখানেই বিনিয়োগ হোক না কেন, বীমা গ্রহীতাদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, বীমা গ্রহীতাদের স্বার্থ মাথায় রেখে এ বিষয়ে বীমা কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) বাংলাদেশ ব্যাংককে ইসলামী বন্ডের মুনাফার হার ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করার আবেদন জানায়। এখন পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, অনেক আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ইসলামী বন্ডে মুনাফার হার না বাড়লে কোম্পানিগুলো যদি সেখানে বিনিয়োগ করে, তাহলে পলিসি ও শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। |
79f393f3-d754-4193-a267-d802bc2a12f4 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের দর কোন কারন ছাড়াই টানা এক মাস বাড়ছে। কারসাজির চক্রের সিন্ডিকেটের কারনে কোন কারন ছাড়াই দর বাড়ছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।
গত এক মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর প্রায় ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য এর নেপথ্যে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বলে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৪ জুলাই ডিএসইতে অ্যাম্বি ফার্মার শেয়ারদর ছিল ২৯০ টাকার নিচে। এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দর ৪৭২ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ডিএসই কর্তৃপক্ষের চিঠির জবাবে ৮ আগস্ট কোম্পানিটি জানায়, শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে, এমন কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই তাদের হাতে। এর আগে জুনের শেষ দিকে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, ৪ কোটি ২৬ লাখ টাকায় গাজীপুরে ১২ বিঘা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের পর্ষদ।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক এবার ১৮ মাসে হিসাব বছর গণনা করছে অ্যাম্বি ফার্মা। এ হিসাবে ৩০ জুন তাদের বর্ধিত হিসাব বছর শেষ হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় অ্যাম্বি ফার্মা। সে হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ১৩ পয়সা।
এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৫১ পয়সা। ডিএসইতে সর্বশেষ ৪৭২ টাকা ৪০ পয়সায় অ্যাম্বি ফার্মার শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪৩ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪৭২ টাকা ৪০ পয়সা।
১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত ওষুধ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন মাত্র আড়াই কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভ ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ,
বিদেশী বিনিয়োগকারী ৮ দশমিক ৯৫ এবং বাকি ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ বাজারদর ও অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত ১৫০ দশমিক ৯৩, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১১৪ দশমিক ২৯। |
e79f3aa0-5c2d-407d-a871-c037e4b63f13 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: জিবাজার থেকে বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকারি মালিকানাধীন আশুগঞ্জ পাওয়ার সেন্টশন কোম্পানি লিমিটেড । আগামী ছয় মাসের মধ্যে বন্ড ইস্যুর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সম্প্রতি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ন সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম বছর স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৪০০ কোটি টাকা এর পরের বছর সংগ্রহ করা হবে। এর জন্য ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি ইউনিট মিলে মোট ১৪০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ ভাগ জোগান দেয় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে ২০০০ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এর জন্যই তারা পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে প্রথম বছরেই প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে, ১৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০#২) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পটুয়াখালী সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০ী২) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উত্তরবঙ্গ সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ৮০ মেগাওয়াট সোলার গ্রীড টাইড পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ৪৫০ মেগাওয়াট কমবাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এ প্রসঙ্গে কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলে এ প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ পাওয়ার ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে লাভ করছে। ২০১২-১৩ সর্বোচ্চ লাভ করেছে ৭১.৮৬ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন লাভ করেছে ২০১৪-১৫ সালে ৩৬.৭৬ কোটি টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৬৬১ কোটি টাকা। মোট সম্পদ ৭ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, মোট দায় ৬ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা এবং নিট সম্পদ এক হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। |
a4ed5686-0678-4e1f-aae3-0262c90fdd06 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। কিছুতেই যেন দরপতন থামছে না। গত ছয় কার্যদিবস ধরে একটানা দরপতন চলছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এছাড়া বাজারের এ দরপতন মেনে নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতে সুচকের উর্ধ্বমুখী হলেও দিনশেষে সুচকের দরপতন হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৯.৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৩৪.৫৬ পয়েন্টে। এর আগে ২৪ আগস্ট ৯.৪১ পয়েন্ট, ২৩ আগস্ট ১৪.১৬ পয়েন্ট, ২২ আগস্ট ১.১৮ পয়েন্ট, ২১ আগস্ট ৬.০৫ পয়েন্ট ও ১৮ আগস্ট ১০.১৬ পয়েন্ট কমেছিল। গতকাল ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনও কমেছে। এদিন ৪৬৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন ছিল ৪৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ৩২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, ১৬৪টি’র দর কমেছে ও ৫৫টি’র দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের ২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার, একমি ল্যাবরেটরিজ, এপেক্স ট্যানারি, মিথুন নিটিং, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, কেয়া কসমেটিকস ও বিএসআরএম লিমিটেড। গতকাল রবিবার সিএসই’র সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৪৭.৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪৭৩.৩৩ পয়েন্টে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৯.৬০ পয়েন্ট বেড়েছিল।
সিএসইতে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন ২৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা ছিল। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টি’র, কমেছে ১৪০টি’র ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি’র। |
0d2afe4d-1f7a-444f-8a54-8d800838ee0e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটবমস, ঢাকা: ২০১০ সালের ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে বীমা আইন পাস হয়। আইন পাসের ১০ মাস পর ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি আইডিআরএ গঠিত হয়। যাত্রার শুরু থেকেই আইডিআরএ বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
২০১২ সালের মে থেকে ২০১৬ সালে মার্চ পর্যন্ত সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে বীমা খাত থেকে আইডিআরএর আয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টাকা। এসব আয় থেকে ২০১৩ সালে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় আইডিআরএ। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে বীমা নিয়ন্ত্রকদের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, আইডিআরএর আয়ের সবচেয়ে বড় অংশটি এসেছে বিভিন্ন বীমা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে। এছাড়া বীমা কোম্পানির এজেন্ট ও এমপ্লয়ার অব এজেন্ট লাইসেন্স, সার্ভেয়ার কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন, জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কোম্পানির শাখা খোলার ফির পাশাপাশি বিভিন্ন বীমা কোম্পানিকে ধার্য করা জরিমানা থেকেও আয় হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের মে থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৭টি এজেন্ট ও এমপ্লয়ার অব এজেন্ট লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এ বাবদ আয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ টাকা। আইডিআরএ শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩৮টি সার্ভে কোম্পানির লাইসেন্স নিয়মিত নবায়ন করেছে।
২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সার্ভে কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ২০ লাখ ১৪ হাজার ৮৬০ টাকা আয় করেছে। এদিকে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কোম্পানির শাখা খোলার ফি বাবদ ২০১২ থেকে ২০১৬-এর মার্চ পর্যন্ত আইডিআরএর আয় ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে নতুন বীমা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২০১২ থেকে ২০১৬-এর মার্চ পর্যন্ত আইডিআরএর আয় হয়েছে ১১৫ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ টাকা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনসহ ৩২টি জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ হিসাব করলে নন লাইফ বীমা কোম্পানি রয়েছে ৪৬টি। এসব কোম্পানি মোট ৭ হাজার ৫৭৩টি শাখার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে জীবন বীমার শাখা ৬ হাজার ৩১১টি ও সাধারণ বীমার শাখা ১ হাজার ২৬২টি। |
f75c2dbe-4416-4ea0-baf3-bc6f401b7dab | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতর কোম্পানি কেয়া কসমেটিকস কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে সাড়ে ৬ গুণ। কোম্পানির ব্যবসা বৃদ্ধি ও পরিচালন ব্যয় কমার কারণে এই আয় বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৯ পয়সা। একই সঙ্গে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা।
চলতি বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে হয়েছে (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ গুণ। তবে কোম্পানির এনএভি তুলনামূলক কমে হয়েছে ১৫ টাকা ৭৭ পয়সা। বৃদ্ধির কারণ ও খাত সম্পর্কে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সিএফও বলেন, গত বছরের একীভূত হলেও সময় পেয়েছে মাত্র তিন মাস।
এবারে পূর্ণ সময় পেয়েছে ১২ মাস। একই সঙ্গে রপ্তানী ভালো হওয়ায় ইপিএস বেড়েছে। ‘একীভূত হওয়ার পরে কোন কোম্পানির আয় বেশি বেড়েছে’ এমন প্রশ্নত্তারে ফোনালাপে তিনি বলেন, কেয়া নিট কম্পোজিটের আয় অনেক বেড়েছে। ব্যবসায় কেয়া কসমেটিকসের চেয়ে নিট কম্পোজিট অনেক এগিয়ে রয়েছে বলেন তিনি। |
94c8737c-b899-4f06-9ac3-738f3372ae7a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একই গ্রুপের তিন কোম্পানির একীভূতকরণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এখন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই একীভূতকরণকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত-পুনবর্হাল, একাধিক কমিটি গঠন, সামিট পাওয়ারের শেয়ারের লেনদেন বন্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে।
৩ কোম্পানির সঙ্গে একীভূতকরণে গত ২৩ আগস্ট সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ারকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আর এই তালিকাচ্যুতি নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিমত, সামিট পাওয়ার একীভূতকরণ কার্যক্রম আদালতের নির্দেশনা মেনে হয়েছে কি-না, তা যাচাই না করেই তালিকাচুতি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সামিট পূর্বাঞ্চলের শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বুঝিয়ে না দিয়েই কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু রাখার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এরই আলোকে গত বুধবার জরুরী ভিত্তিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বৈঠকে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামিট পাওয়ারের লেনদেন স্থগিত করে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। ২৮ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
পাশাপাশি সামিট পূর্বাঞ্চলের তালিকাচ্যুতি নিয়ম অনুযায়ী না হওয়ায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিএসইর যে ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয় তারা হলেন- চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নিজাম উদ্দিন ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
অপরদিকে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সামসুর রহমান, মার্কেট অপারেশনের প্রধান মরতুজা আলম ও লিস্টিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ মমিনুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার আবার জরুরী সভা করে বিএসইসি। সভায় একীভূতকরণ ইস্যুতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে কমিটির প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পরিচালক মনসুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এদিকে শনিবার ডিএসইর এক জরুরী সভায় বরখাস্ত হওয়া চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে পুনর্বহাল এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। পাশাপাশি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিটিও জিয়াউল করিম ও এজিএম ওয়াহিদুজ্জামান। এ কমিটিকে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএসইসির নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ৩ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। তবে শনিবার (২৭ আগস্ট) সিএসইর অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় স্টক এক্সচেঞ্জটির পরিচালকদের সমন্বয়ে গঠিত রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটি (আরএসি) ওই আদেশ বাতিল করেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ডিএসইর এক পরিচালক জানান, কমিশন শুরুতে ডিএসইর ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বিষয়টি বাড়াবাড়ির দিকে চলে যাওয়ায় বিএসইসি নমনীয় হয়। এক্ষেত্রে ৩ জনকে বাদ না দিয়ে আপাতত দৃশ্যমান হয় এমন কিছু করার জন্য বলে। এক্ষেত্রে নিজাম উদ্দিন আহমেদকে ওএসডি করতে বলা হয়। |
ae020bea-cd78-48f7-8858-25b5b9d939c0 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ডিএসইর তদন্তের জবাব দিয়েছে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানি। কোম্পানিগুলে হলো- এমবি ফার্মা লিমিটেড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড। এ ২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে প্রভাব ফেলবে এমন কোনো তথ্য নেই বলে ডিএসইর তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে উল্লেখিত কোম্পানি দুইটির কতৃপক্ষ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানি দুইটির কাছে গতকাল ২৮ আগস্ট চিঠি পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানি দুইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেয়ার লেনদেনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোনো অপ্রকাশিত তথ্য তাদের কাছে নেই।
এর মধ্যে মডার্ণ ডাইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে বোর্ডের কোনো সদস্য জড়িত নেই। তবে কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এমবি ফার্মার শেয়ার দর গত ৩১ জুলাই থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
এ সময়ে শেয়ারটির দর ৩২৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫৮১ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত হয়েছে। একইভাবে মডার্ণ ডাইংয়ের শেয়ার দরও গত ৩১ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এই সময়ে শেয়ারটির দর ১৪৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩১৯ টাকা পর্যন্ত হয়। আর কোনো কারণ ছাড়া শেয়ারের এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কতৃপক্ষ। |
314762f1-5b0b-4f77-b7c0-4745298e6503 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সুচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা সুচকের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীরা ফের বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন। কারন পুঁজিবাজারের একটানা দরপতন যেমন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ নয়, তেমনি একটানা দরবাড়া স্থিতিশীল বাজারের লক্ষন নয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা ৭ কার্যদিবস মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এ সময়ে ৬১.১৯ পয়েন্ট কমেছে।
যা ৭ দিনের গড়ে প্রতিদিন ৮.৭৪ পয়েন্ট করে কমেছে। গতকাল লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে এ পতন হয়েছে। একইসাথে ক্রমানয়ে কমছে আর্থিক লেনদেনের পরিমান। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ০.৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৩৪.০৪ পয়েন্টে। এর আগে ২৮ আগস্ট ১৯.৭২ পয়েন্ট, ২৪ আগস্ট ৯.৪১ পয়েন্ট, ২৩ আগস্ট ১৪.১৬ পয়েন্ট, ২২ আগস্ট ১.১৮ পয়েন্ট, ২১ আগস্ট ৬.০৫ পয়েন্ট ও ১৮ আগস্ট ১০.১৬ পয়েন্ট কমেছিল।
মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনও কমেছে। সোমবার ৪৬৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ ২৮ আগস্টে ৪৬৫ কোটি ৫২ লাখ, ২৪ আগস্টে ৪৯৬ কোটি ১৩ লাখ ও ২৩ আগস্টে ৫৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ছিল। ডিএসইতে ৩২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, ১২৫টি’র দর কমেছে ও ৪৯টি’র দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিএসআরএম লিমিটেড। লেনদেনে এরপর রয়েছে— ফার কেমিক্যাল, শাহজিবাজার পাওয়ার, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিষ্টেম, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, এপেক্স ফুডস ও মিথুন নিটিং।
এদিকে ডিএসইতে মূল্যসূচকের পতন হলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে কমেছে আর্থিক লেনদেন। এদিন সিএসই’র সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ২.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৭৫.৯৩ পয়েন্টে। তবে আগেরদিন এ সূচক কমেছিল ৪৭.৯৪ পয়েন্ট। সিএসইতে ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ছিল। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৮টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টি’র, কমেছে ১০০টি’র ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি’র। |
21a380a8-1b22-4acd-8de4-dac012256201 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশের আকাশে আজ (শুক্রবার) কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সেই হিসেবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সভায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না। তবে ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও জিলহজের চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। তাই জিলহজ মাস শুরু হবে রোববার থেকে। ১০ জিলহজ অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের আগের দিন, অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ১১ সেপ্টেম্বর আরাফাতের ময়দানে জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। |
19f42638-fec6-4492-85b6-bf0d9c67d62a | শহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি উত্তাল পাতালের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা্ ইতিবাচক ছিল। ফলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।
একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে বাজার মূলধন ও পিই রেশিও। তবে বেড়েছে উভয় বাজারে টাকার অংকের লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহ শেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৬৫১ কোটি টাকা। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কমেছে ২১৯ কোটি টাকা।
সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৮ আগস্ট) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মূলধন কমেছে ৬৫১ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা; যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ২২০ কোটি বা ১১ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা; যা তার আগের সপ্তাহে চেয়ে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ কম। আগে সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫০০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্টে কমে ১ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। আর লেনদেন হয়নি তিনটি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। সিএসই ৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ, সিএসই ৫০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। |
866b4fa4-bdbc-458e-b9f3-6d28ad2f7b32 | শেয়ারবার্তা ২৪ডটকম, ঢাকা: প্রাথমিক গণ প্র্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে চায় এ্যাস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড। এ জন্য কোম্পানিটি রোড শোর সম্ভাব্য মাসও ঠিক করেছে কোম্পানিটি। কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আইসিবি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়। বর্তমানে কোম্পানিটি কাঁচপুরে উৎপাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। কোম্পানিটি এই ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বাজারে আসছে। আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকা তারা ব্যবসা সম্প্রসারণরে জন্য ব্যয় করবে। এই টাকা দিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকাতে দ্বিতীয় ইউনিট করবে এ্যাস্কয়ার নিট কম্পোজিট।
এদিকে, আগামী অক্টোবর মাসে হোটেল রেডিসনে এ রোড শো হতে পারে। কোম্পানির এই রোড শোতে অংশগ্রহণ করবে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলারস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজ পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং কমিশনের অনুমোদিত অন্য প্রতিষ্ঠানসমূহ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল হাবিব, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মুস্তাফিজুর রহমান, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ও প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোশাররফ হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। |
53101e9b-e300-496f-959c-6689cf3e7718 | খুলনা ব্যুরো: খুলনার বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল দুপুর ১২টায় নগরীর শিল্প ব্যাংক ভবনের অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ হাউজের খুলনা শাখায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।
সিএসইর কর্মশালা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ হাউজের চট্টগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপক ওয়েজ আলী জামান অর্থসূচককে জানান, পুঁজিবাজারের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সিএসই। বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো সচেতনতা।
তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে এ কর্মশালার আয়োজন করেছে সিএসই। বিনিয়োগকারী, নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীরা এই কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন। এতে অংশগ্রহণকারীরা শেয়ার ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ হাউজের খুলনা শাখা ব্যবস্থাপক তাপস কুমার সাহা বলেন, খুলনার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এ কর্মশালা খুব সহায়ক হবে। |
c6ec8466-78f0-470b-b2eb-ebe406760df7 | মো: সাজিদ খান, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানির আগের বছরের তুলনায় গত বছর মুনাফা কমেছে। ২০১৫ অর্থবছরে মুনাফার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৪৬ শতাংশ। ২০১৪ অর্থবছরে এসব কোম্পানির সমন্বিত মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ছিল ২২.৬৩ শতাংশ। সেই হিসেবে ২০১৫ অর্থবছরে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় প্রবৃদ্ধি কমেছে।
জানা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৬টি বিদেশী মালিকানাধীন বহুজাতিক ও যৌথ মূলধনী কোম্পানি রয়েছে। ২০১৫ অর্থবছরে এ ১৬ কোম্পানির সমন্বিত মুনাফা আগের বছর ২০১৪ সালের তুলনায় ১.৪৬ শতাংশ অর্থাৎ ৫৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেড়েছে। অথচ ২০১৪ অর্থবছরে সমন্বিত মুনাফা ২০১৩ হিসাব বছরের তুলনায় ২২.৬৩ শতাংশ বা ৭০৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়েছিল।
সর্বশেষ তিন বছরে অর্থাৎ ২০১৫, ২০১৪ ও ২০১৩ অর্থবছরে এ ১৬ কোম্পানির সমন্বিত মুনাফা হয়েছে যথাক্রমে- ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ৩ হাজার ৮০৯ কোটি ৪৭ লাখ এবং ৩ হাজার ১০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬টি বহুজাতিক ও যৌথ মূলধনী কোম্পানিগুলো হলো : গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বার্জার পেইন্টস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বাটা স্যু, গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন, লিন্ডে বিডি, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার, ফু-ওয়াং ফুড, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছয় কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা কমেছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের।
২০১৫ অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ২২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যা এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ছিল ২৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা ১৮.৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ২০১৫ অর্থবছরে ফু-ওয়াং সিরামিক, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ম্যারিকো বাংলাদেশ এবং গ্রামীণফোনের মুনাফা কমেছে।
২০১৫ অর্থবছরে আয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ফু-ওয়াং ফুডের। ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১১ কোটি টাকা। আগের বছর যার অর্থাৎ ২০১৪ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ৮৪.৫৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২০১৫ অর্থবছরে রেকিট বেনকিজার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, বাটা স্যু, লিন্ডে বাংলাদেশ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, সিঙ্গার বিডি এবং গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইনের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
এদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে গ্রামীণফোন। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে এক হাজার ৯৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ০.৪৮ শতাংশ বা ৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কমেছে।
২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৩৪.৭০ শতাংশ বা ৫১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৯৮০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বার্জার পেইন্টস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ ১০০ কোটি টাকার উপরে মুনাফা করছে। |
026f9e4d-3b90-495e-8854-ccdea8fd12f9 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ক্রমেই পিছিয়ে পরছে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো। স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর দর যে হারে বাড়ছে সে হারে বাড়ছে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর। কিন্ত বড় মূলধনী কোম্পানিতেই বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগ পুজি আটকে আছে। বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর সে হারে না বাড়ায় সূচক ও লেনদেনে পরছে নেতিবাচক প্রভাব।
কারণ বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা অধিক হওয়ায় এটা নিয়ে কারসাজির সুযোগ কম থাকে। পক্ষান্তরে বড় স্বল্পমূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় কারসাজির সুযোগ থাকে বেশি। যে কারণে একটি চক্র সহজেই এসব কোম্পানি নিয়ে কারসাজি করে ইচ্ছেমতো দর বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে।
জানা যায়, গত এক বছরের দর বাড়ার তালিকার ২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র তিনটি কোম্পানি ছিল বড় মূলধনী কোম্পানির। আর বাকি ১৭টি ছিল স্বল্পমূলধনী কোম্পানির। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এক বছরে দেশের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। এ সময়ের ব্যবধানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশেরই দর কমেছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১১২টি সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ২২৩টির এবং লেনদেন হওয়া আটটি সিকিউরিটিজের বাজারদর অপরিবর্তিত ছিল। দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেড ছাড়া সবই স্বল্প মূলধনি কোম্পানি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোম্পানিগুলো হলো— মডার্ন ডায়িং ২৩২ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ২৩১ শতাংশ ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ২২৪ শতাংশ। এর মধ্যে মডার্ন ডায়িং প্র্রায় ছয় বছর ধরে তাদের কারখানা ভবনের ভাড়া দিয়েই চলছে।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত লোকসানে চলে এসেছে কোম্পানিটি। জেমিনি সি ফুড এ ক্যাটাগরির ছোট মূলধনি কোম্পানি। বিলম্বিত কর সমন্বয়ের কারণে গেল হিসাব বছরে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এদিকে মূল ব্যবসা লুব্র্রিক্যান্ট ব্লেন্ডিংয়ে লোকসান দেখালেও ট্রেডিং ও অন্যান্য কার্যক্রমের সুবাদে মুনাফা অস্বাভাবিক বেড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের।
গত এক বছরে শেয়ারদর কমপক্ষে দ্বিগুণ হয়েছে আট কোম্পানির। উপরের তিনটি কোম্পানির বাইরে এ তালিকায় রয়েছে— দেশ গার্মেন্টস, আজিজ পাইপস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, কে অ্যান্ড কিউ, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড। এর মধ্যে দেশ গার্মেন্টস ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর মুনাফায় থাকলেও লোকসানে রয়েছে বাকি দুটি কোম্পানি। লোকসান টানতে টানতে কে অ্যান্ড কিউ এরই মধ্যে তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে কী ব্যবসা করা যায়— এখন পর্যন্ত তা নিয়েই ভাবছে কোম্পানিটি।
শেয়ারদর ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে আইপিডিসি, অ্যাম্বি ফার্মা, শ্যামপুর সুগার, মুন্নু স্টাফলার্স, ইবনে সিনা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশন্স, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। এর মধ্যে আইপিডিসি, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেড তাদের মূল ব্যবসায় আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে। প্রাইম লাইফের নিট বীমা তহবিল কমেছে। ব্যাংকের সঙ্গে আইনি লড়াই চলমান থাকায় সুদ ব্যয় হিসাবে না নিয়ে বড় ইপিএস দেখাতে সক্ষম হয় লিবরা ইনফিউশন্স।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় উঠে এসেছে কিন্তু শেয়ারদর ৫০ শতাংশের কম বেড়েছে এমন দুটি সিকিউরিটিজ হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও আরামিট লিমিটেড।
এদিকে গত এক বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে ছয় কোম্পানি; অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, পিপলস লিজিং, বিডি ওয়েল্ডিং, সুহূদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও খুলনা প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং। এর মধ্যে অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ ও সিঅ্যান্ড টেক্সটাইল গেল বছর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। লোকসানের কারণে এ বছর লভ্যাংশ দেয়নি পিপলস লিজিং। বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা অনেক দিন ধরেই কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে মাঝে কারখানা বন্ধ ছিল খুলনা প্যাকেজিংয়ের। সুহূদ ইন্ডাস্ট্রিজও পরিচালকদের দ্বন্দ্বে বেশ কঠিন সময় পার করেছে।
এর বাইরে ৪০ শতাংশের বেশি দর হারানো কোম্পানিগুলো হলো ফার কেমিক্যাল, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, বিচ হ্যাচারি, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইউনাইটেড এয়ার, ফার্স্ট ফিন্যান্স, রূপালী ব্যাংক, সেন্ট্রাল ফার্মা, বঙ্গজ, সিভিও পেট্রো ঢাকা ডায়িং, জাহিন স্পিনিং ও জেনারেশন নেক্সট। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া এ কোম্পানিগুলোও ব্যবসা নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো সুসংবাদ দিতে পারছে না বলে জানা গেছে।
বাজার সংশিষ্টদের মতে, বড় মূলধনী কোম্পানীগুলোর তুলনায় স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর দর বাড়ায় সূচক ও লেনদেন বাড়ছেনা। বরং সূচক ও লেনদেন একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনো কখনো লেনদেন এক হাজার কোটির ঘরে গেলেও তারও স্থায়ীত্ব থাকছেনা। কিছুদিন যেতে না যেতে বাজার আবার তলানীতে নেমে যাচ্ছে। স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর দর বাড়ার একটিই কারণ তা হলো কারসাজি।
শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানিগুলোর দর সহজে নিয়ন্ত্রনে নেয়া যায়। তখন বিভিন্ন গুজব রটিয়ে কৃত্রিমভাবে শেয়ারটির দর বাড়িয়ে দেয়া হয়। যে কারণে ওই সময় সূচক কিছুটা বেড়ে যায়। যখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে মুনাফা তুলে বেড়িয়ে যায় তখন আবারও সূচক ও লেনদেনে ভাটা পরে। এভাবে বিভিন্ন সময় স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলো নিয়ে কারসাজির মাধ্যমে দর বাড়ানোর ফলে সেগুলো দর বৃদ্ধির তালিকায় ওঠে আসে। আর পিছিয়ে পরে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো। তাদের জায়গা হয় দর কমার তালিকায় |
77fc8ae8-847a-4c37-a4ae-b75fe845d523 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে জরিমানা করে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। শেয়ার কারসাজির দায়ে করা জরিমানা প্রতিষ্ঠানটির আপিলের প্রেক্ষিতে কমিয়ে দেড় কোটি টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা করা হলেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তারা। জরিমানার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জরিমানার সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নির্দেশনাকে কেনো আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না অর্থমন্ত্রণালয়, বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনার, পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের কারণ দর্শাতে বলেছে। গত ২ আগস্ট আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, পিএফআই সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে গত মাসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ওই আবেদন হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের যৌথ বেঞ্চে শুনানি হয়ছে। শুনানি শেষে ২৫ জুলাই ৩ মাসের জন্য বিএসইসির করা জরিমানা স্থগিত করে দেয়।
২০১৪ সালের ১৫ জুলাই দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু হয়। কিন্তু শুরুতেই অস্বাভাবিক লেনদেন সন্দেহে ওই বছরের ২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। তদন্তের মধ্যেও বাড়তে থাকে শেয়ারের দর। এক পর্যায়ে ১১ আগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৪ কার্যদিবস লেনদেন স্থগিত রাখে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তদন্তÍ প্রতিবেদনে কারসাজির চিত্র উঠে আসে। জরিমানা করা হয় ৯ প্রতিষ্ঠান এবং ৮ ব্যক্তিকে। কারসাজির ঘটনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয় পিএফআই সিকিউরিটজকে।
বিএসইসির তথ্য অনুসারে, পিএফআই সিকিউরিটিজ শাহজিবাজারের শেয়ার কিনতে গিয়ে সম্মিলত গ্র্রাহক হিসাবের অর্থ ব্যবহার, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন পক্ষকে শাহজিবাজারের শেয়ার কেনায় যুক্ত করা এবং সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ সুবিধা দেওয়া। এর মাধ্যমে আইনের তিনটি ধারা লংঘন করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটিকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
পিএফআই সিকিউরিটিজ ওই শাস্তিÍর বিরুদ্ধে আপিল করলে বিএসইসি তা কমিয়ে ৭৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। বিধি অনুসারে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার এ অর্থ পরিশোধ করা। কিন্তু পিএফআই সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে না পেরে এটিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। |
40188ec2-8168-4d4a-9dfd-acf7414c2de7 | রাকিবুল হাসান, আসাদুজ্জামান মুরাদ , শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা চামড়া খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজের বিরুদ্ধে শ্রমিক নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করানো হলেও বেতন বোনাস দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশাল নগরীর বিসিক এলাকার রফতানীমুখি জুতা নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ফরচুন সুজ লিমিটেডে প্রায় ১৫শত শ্রমিক কাজ করে। তবে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে তালবাহানা।
কর্মসময় ৮ ঘন্টার স্থলে ১০/১২ঘন্টা আটকে রেখে জোরপূর্বক কাজ করানো, বেতন ভাতা চাইলেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। আর বোনাসের দাবিতে কেউ কথা বললে গায়ে হাত তোলেন মিজানুর রহমানের ভাই শফিকুর রহমান।
জানা যায়, গত বছর ১৮ মে সহ প্রতিষ্ঠানিটির স্থাপিত হওয়ার ৫ বছরে এখন পর্যন্ত বেতন-ভাতার দাবিতে ৫ থেকে ৬ বার শ্রমিকরা বিদ্রোহ করেছে। বিশেষ করে গেল বছর ৩৪ জন শ্রমিক অতিরিক্ত কাজের (ওভার টাইম) মজুরী দাবি করায় কারাখানা থেকে বের করে দেয় কোম্পানি কৃর্তপক্ষ। এসময় বেশ কিছু শ্রমিককে মারধর করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ মে সোমবার বেলা ১২টায় বিক্ষুদ্ব ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৫-২০ জন শ্রমিক প্রধান ফটকে অবস্থান করে এবং বিক্ষোভ করে। এসময় ইলিয়াস নামক শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে কাটিং শাখার শ্রমিক ছিল ইলিয়াস। ইলিয়াসকে মারধর করেছে প্রতিষ্ঠানের মালিকের ভাই শফিকুর রহমান । এ ব্যাপারে শ্রমিক ইলিয়াস বলেন, মালিকের ভাই শফিকুর রহমান কোম্পানির প্রভাব খাটিয়ে প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমাকে নয় এরকম বহু শ্রমিকদের মারধর করে মালিকের ভাই। তাছাড়া প্রতিবাদ করলে চাকুরীচ্যুত করার ভয় দেখায়। পাশাপাশি চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
কারখানা থেকে বের করে দেবার কারন সর্ম্পকে ইলিয়াস অন্যান্য শ্রমিকরা জানান, গত ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে তাদের বেতন ও অতিরিক্ত কাজের মজুরী বকেয়া রয়েছে। প্রত্যেক শ্রমিকের গড়ে মাসে দেড়শ ঘন্টার (প্রতি ঘন্টায় সাড়ে ১৭ টাকা) অতিরিক্ত কাজের মজুরী বকেয়া রয়েছে।
বকেয়া পরিশোধের সময় তাদের মাসে ৩৬ ঘন্টার মজুরী দেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকরা ওই মজুরী নিতে অস্বীকার করায় তাদের কারখানা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। একাধিক শ্রমিকরা জানান, মালিকের ভাই শফিকুর রহমানের ইচ্ছায় পুরো প্রতিষ্ঠান চলে। তিনি প্রভাবখাটিয়ে শ্রমিকদের জিম্মী করে রাখছেন।
এ ব্যাপারে ফরচুন সুজ লিমিটেডের ডেপুটে ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেন জানান, চেয়ারম্যান বর্তমানে দেশের বাহিরে আছে তাই তিনি আর কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তারা শ্রমিকদের মজুরি প্রতিমাসেই পরিশোধ করছে। এর আগে কিছু কর্মচারী অনর্থক বিক্ষোভ করেছে। এখন শ্রমিকদের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। আর আগামী মাসে চেয়ারম্যান আসলে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সুত্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ, দেশ প্রতিক্ষণ ডটকম
চলবে …………………… |
cf4153a9-6f7c-456e-818c-8992d0f4f03a | মো: সাজিদ খান , শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পরিচালনা লোকসানের কারণে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হতে পারছেনা রাষ্ট্রয়ত্ব ৩ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল), অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড। অফলোডে অনেকটা এগিয়ে গিয়েও অবশেষে পিছিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব এ তিন কোম্পানি।
জানা যায়, পরিচালন লোকসানের কারণে তারা আপাতত শেয়ার অফলোড করতে পারছে না সরকারের জ্বালানি কোম্পানি লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল) জানিয়েছে। আট বছর নানা জটিলতার মধ্যে শেয়ার অফলোডের প্র্রক্রিয়া শুরু করলেও এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোম্পানির পরিচালন লোকসান। এর আগে গত ৮ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অবিলম্বে এলপিজিএলের ২৫ শতাংশ শেয়ার আফলোড করার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১২ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সরাসরি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার পরও নানা জটিলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত আরেক কোম্পানি অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি হতে পারেনি। লাভজনক হলেও কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়হীনতা, ধীরগতি, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নে কালক্ষেপণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব, স্টক এক্সচেঞ্জে সরাসরি তালিকাভুক্তির অনুমোদনের পর নতুন করে মূলধন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
একই পরিস্থিতি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক লিমিটেডে। ২০১২ সালে অস্বাভাবিক প্রিমিয়াম দাবি করে শেয়ার ছাড়ার আবেদন জানিয়েও পরবর্তীতে পিছিয়ে যায়। এসব কারণেই সরকারের নীতিনির্ধারকরা বারবার ঘোষণা দিলেও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ে শেয়ার ছাড়তে ব্যর্থ হয়েছে। |
87a82b24-a423-48ef-87d5-7076c02874a3 | শহিদুল ইসলাম ,শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে বিএসইসির করা জরিমানার বিরুদ্ধে এই রিট আবেদন করেছিল পিএফআই সিকিউরিটিজ। পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আদালত বিএসইসির সিদ্ধান্তের ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনার কপি হাতে পাওয়ার আগে রিট আবেদনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করা যাবে না। এদিকে আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ঈদুল আজহার ছুটি। তাই সব মিলিয়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে ওই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে।
প্রসঙ্গত,শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে গত বছর পিএফআই সিকিউরিটিজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা করে বিএসইসি।
এর মধ্যেপিএফআই সিকিউরিটিজকে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে আপিল করে। এর পরিপ্রক্ষিতে জরিমানা কমিয়ে ৭৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে বিএসইসি। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
জানা যায়, পিএফআই সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে গত মাসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ওই আবেদন হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের যৌথ বেঞ্চে শুনানি শেষে বিএসইসির করা জরিমানার সিদ্ধান্ত ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত কেনো এখতিয়ার বহির্ভূত হবে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অর্থমন্ত্রণালয়, বিএসইসি চেয়ারম্যান, কমিশনার, নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালককে নির্দেশ দেন। |
da344edb-d373-40d0-8921-f484630021f2 | ফাতিমা জাহান, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ইস্যূতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে উত্তোলন করবে না সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল)। কোম্পানিটি আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করবেনা। এর পরিবর্তে আপাতত বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোট ১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে। চলতি বছরই ৬০০ কোটি টাকার এবং বাকি ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ২০১৭ সালে ইস্যু করা হবে। গতকাল বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ একটি সূত্রে এমন তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে গত রোববার সরকারি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অফলোড-সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। সে বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি এপিএসসিএলের বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব করা হয়।
সভায় বিদ্যুৎ জ্বালানি, শিল্প, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজারে সরকারি কোম্পানির শেয়ার অফলোডের ব্যাপারে বিভিন্ন কোম্পানির মতামত ও সংশ্লিøষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ জমা দেয়ার জন্য গত ৩০ জুন পর্যন্তÍ সময় ধার্য ছিল। তবে বিদ্যুত্ বিভাগ ছাড়া কেউই এ বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ উপস্থাপন করতে পারেনি।
সূত্র বলছে, নানা জটিলতার পাশাপাশি শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে জোর উদ্যোগ নেয়ার প্রায় আট বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তাদের শেয়ার অফলোডে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে মতামত দেয়ার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আসার পর শেয়ারবাজারে সরকারি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অফলোডের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য সে সময় প্রথমে ২৪টি সরকারি কোম্পানির তালিকা তৈরি হয়। পরবর্তিতে এ সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট সরকারি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার হুমকিও দেন। তবে কোম্পানিগুলো শেয়ার অফলোড করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সামনে রেখে সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এ বিষয়ে কিছুটা তৎপরতা দেখিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত গত রোববারের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এপিএসসিএলের ১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি বছরই ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে। আগামী বছর অবশিষ্ট ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে। বন্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে।
গত বছর দেশের বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প, বিশেষ করে বিদ্যুত্ খাতের উন্নয়নে দেশী-বিদেশী শেয়ারবাজার থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে জ্বালানি ও বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয়। সে সময় দাতা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শেয়ার ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিদ্যুত্ খাতে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তÍবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় আগামী ১০ বছরে ৬ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি বৃহত্ বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন এবং ১৩টি সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
এপিএসসিএল দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। কোম্পানিটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অধীনে পরিচালিত হয়। ২০০০ সালের ২৮ জুন এপিএসসিএল কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী নিবন্ধিত হয়। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৬ শতাংশ জোগান দেয় তারা। নয়টি ইউনিটে মোট ১ হাজার ১২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন কোম্পানিটি বর্তমানে ৯৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
এদিকে সরকারের আরেক জ্বালানি কোম্পানি লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গণ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল) তাদের মতামতে জানিয়েছে, পরিচালন লোকসানের কারণে তারা আপাতত শেয়ার অফলোড করতে পারছে না। গত আট বছর নানা জটিলতার মধ্যে শেয়ার অফলোডের প্রক্রিয়া শুরু করলেও এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোম্পানির পরিচালন লোকসান। এর আগে গত ৮ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অবিলম্বে এলপিজিএলের ২৫ শতাংশ শেয়ার আফলোড করার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১২ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সরাসরি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার পরও নানা জটিলতায় রাষ্ট্রায়ত্ত আরেক কোম্পানি অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি হতে পারেনি। লাভজনক হলেও কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়হীনতা, ধীরগতি, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নে কালক্ষেপণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব, স্টক এক্সচেঞ্জে সরাসরি তালিকাভুক্তির অনুমোদনের পর নতুন করে মূলধন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
একই পরিস্থিতি সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক অস্বাভাবিক প্রিমিয়াম দাবি করে শেয়ার ছাড়ার আবেদন জানিয়েও পরবর্তীতে পিছিয়ে যায়। এসব কারণেই সরকারের নীতিনির্ধারকরা বারবার ঘোষণা দিলেও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ে শেয়ার ছাড়তে ব্যর্থ হয়েছে। |
3eeac955-90d2-4da4-be6d-211816af64a1 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে । একদিকে শেয়ার ধারণে শিথিলতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ আর অন্যদিকে রয়েছে আইনি জটিলতা। একইসঙ্গে শিথিলতায় আপত্তি রয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)।
সব মিলিয়ে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, কোম্পানির ন্যূনতম দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে শিথিলতার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে আপত্তি রয়েছে ডিএসইর।
মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আকারের ভিত্তিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণে শর্ত আরোপের কথা বলা হয়েছে। ঈদের ছুটির পরেই বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ-সংক্রান্ত লিখিত প্রস্তাব দেবে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর বোর্ডসভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দেশ প্রতিক্ষণকে জানান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালকদের শেয়ার ধারণের শর্ত শিথিল করতে নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের আপত্তি ও আইনি বিষয় চিন্তা করে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএসইসি। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও একটি খসড়া ইতোমধ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
‘উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণে আন্তর্জাতিক কোনো মানদ- নেই’ উল্লেখ করে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যদি শেয়ার ধারণের শর্তে পরিবর্তন আনা হয়, তাহলে যারা আগে এ শর্তের কারণে পরিচালক পদ হারিয়েছিলেন, তারা বিএসইসির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।
এতে নতুন করে জটিলতায় পড়তে পারে বিএসইসি।’ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণে ন্যূনতম সীমা বেঁধে না দিয়ে কোম্পানির সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি বিএসইসির আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণে আগের নির্দেশনা বহাল থাকবে।
আর ২০০ কোটি থেকে ৪৯৯ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির পরিচালকদের জন্য এককভাবে ন্যূনতম এক দশমিক পাঁচ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ২০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতার বিধান রেখে খসড়া তৈরি করেছে বিএসইসি। কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণের শর্তে পরিবর্তন আনতে ইতোমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামতও চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন পরিচালক বলেন, ‘কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণ নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ, ডিএসইর আপত্তি ও আইনি জটিলতা নিয়ে ব্যাপক চাপে আছে বিএসইসি। এসব জটিলতা ও আমাদের চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থাকায় বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তবে খুব শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তের দিকে যাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’ প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন হলে কোম্পানির পরিচালকদের গণহারে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যাবে বলে মনে করেন রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কোনো কোম্পানির মালিকানায় পরিচালকদের শেয়ার বেশি থাকলে কোম্পানির প্রতি তাদের আন্তরিকতা কিংবা দায়িত্ববোধ বেশি থাকে।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আগের নিয়মটি বহাল রাখা অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির নৈতিক দায়িত্ব।’ প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ভয়াবহ ধসের সময় স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রায় প্রতিদিনই উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসতে থাকে। বিক্রয় চাপ কমাতে বিএসইসি বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি রোধে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে নির্দেশনা জারি করে। |
51919a9d-2f89-4c59-a1ad-cca4020f640a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারের বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন। তারা আদৌ মুল পুঁজি ফিরে পাবেন না কিনা এ নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছেন। কোম্পানিটি বিনয়োগকারীদের সাথে প্রতারনা করছেন বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন। সম্প্রতি ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানির শেয়ার দরে।
এদিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার আগেই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল নিম্নমুখী। এখন এ শেয়ারের চাহিদা আরও কমে গেছে। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের পর দুই কার্যদিবসেই শেয়ারের দরে পতন দেখা গেছে। বর্তমানে এ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে চার টাকা ৭০ পয়সায়। দর আরও কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।
বুধবারের বাজার চিত্রে দেখা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। লোকসানি এ শেয়ার বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্রেতা বেশি থাকায় সকাল থেকেই শেয়ারদরে পতন দেখা যায়। দিনের একপর্যায়ে চার টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হলেও দিন শেষে তা নেমে আসে চার টাকা ৭০ পয়সায়।
কোম্পানিটির মোট ছয় লাখ ৮০ হাজার ৩৭৫টি শেয়ার এক হাজার ৫৫১ বার হাতবদল হয়। এদিকে গত এক বছরের লেনদেনচিত্র লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি শেয়ার সর্বোচ্চ ১১ টাকা ২০ পয়সায় এবং সর্বনিম্ন চার টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। টানা ছয় মাস প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত রোববার ডিএসই’র পক্ষ থেকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে এখন ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি হিসেবে লেনদেন করতে হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে। পাঁচ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের কাছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা নাজুক দেখে নিজেদের শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন এর পরিচালকরা। ২০১৫ সালের ৩০ জুন কোম্পানির পরিচালকদের কাছে ছিল সাত দশমিক শূন্য চার শতাংশ শেয়ার। এখন যার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে পরিচালকরা বিক্রি করেছেন দুই শতাংশের বেশি শেয়ার।
গত ৫ মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকা এ প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের দর দীর্ঘদিন থেকে ছয় টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। বর্তমানে তা পাঁচ টাকার নিচে নেমে এসেছে। লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও বরাবরই কৌশলী প্রতিষ্ঠানটি তালিকাভুক্তির পর প্রতি বছরই নগদ লভ্যাংশ না দিয়ে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সেটা শুধু ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য।
অন্যদিকে রাইট শেয়ার ছাড়ার অযোগ্য এ কোম্পানিটি সম্প্রতি প্লেসমেন্ট ও বন্ড ইস্যু করে ৬২৪ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে। এ অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। বাকি ২২৪ কোটির বন্ড ইস্যু করে।
২০১১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক প্রজ্ঞাপনে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ইউনাইটেড এয়ার রাইট শেয়ার ছাড়তে পারেনি। |
6071e909-952f-4337-90b5-fa94bef14147 | নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালাবে। কমিশন মনে করছে, আয় অতিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে অবচয় ব্যয় বাদ দেয়ার জন্য আর্থিক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট কিছু সম্পদ গোপন করেছে কোম্পানিটি। এজন্য বিএসইসির সর্বশেষ নিয়মিত সভায় কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএসইসি সূত্র জানায়, বিশেষ নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কাশেম অ্যান্ড কোম্পানিকে মনোনীত করেছে কমিশন। সর্বশেষ শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালিয়েছিল বিএসইসি। এর পর শাহজিবাজার পাওয়ারের পরিচালকদের জরিমানা করা হয়।
জেনারেশন নেক্সটের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রকদের আশঙ্কা, আয় বাড়িয়ে দেখানোর বাইরে কোম্পানিটি বিদ্যমান প্রকল্প সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করিয়েছে এবং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস। সে সময় ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে পুরোটাই ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করে কোম্পানিটি। পরবর্তীতে তালিকাভুক্তির দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন পায়।
২০১৪ সালে তিনটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ১১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। রাইট অফার ডকুমেন্টে এ অর্থের মধ্যে ৪৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং বিদ্যমান প্রকল্প সংস্কার ও আধুনিকায়নে (বিএমআরই) ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের ঘোষণা দেয় কোম্পানি। রাইট শেয়ারের অর্থ প্রাপ্তির এক বছরের মধ্যে বিএমআরইর কাজ সম্পন্ন করারও ঘোষণা আসে।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের চলমান মূলধনি কর্মযজ্ঞে ১০৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে সম্পদের বিবরণীতে বিপুল এ বিনিয়োগের যথাযথ প্রতিফলন নেই বলে মনে করছেন নিয়ন্ত্রকরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, হিসাব মান অনুযায়ী অবচয় সুবিধার বিপরীতে যথাযথ ব্যয় ধার্য করা হলে জেনারেশন নেক্সটের আয় প্রদর্শিত আয়ের চেয়ে কমে যাবে। আয় বাড়িয়ে দেখানোর উদ্দেশ্যেই কোম্পানিটি অবচয়ের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
২০১৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, জেনারেশন নেক্সটের কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। এ বছর সার্বজনীন হিসাব বছর অনুসরণ করায় এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেনি।
তবে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৩৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম। এদিকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেনারেশন নেক্সটের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৩৭১ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ৫৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ২৭ ও বাকি ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
শেয়ারবাজারে আসার পর প্রতি বছরই শেয়ারহোল্ডারদের অন্যূন ১৫ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দুই বছরের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে জেনারেশন নেক্সট শেয়ারের দর ১৮ থেকে ৬ টাকার ঘরে নেমে এসেছে। গতকাল সর্বশেষ লেনদেন হয় ৬ টাকা ৭০ পয়সায়। |
9cd609a9-02cb-4282-a69c-02b4d8d1bdea | শহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের শেয়ারে সুবাতাস বইতে শুরু করছেন। দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের শেয়ারে দর বাড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া শেষ কার্যদিবসে বাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ারের একক আধিপত্য বিস্তার ছিল। তেমনি ব্যাংকিং খাতের প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের।
দীর্ঘদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারের প্রতি যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা নতুন করে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন পর বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের শেয়ার দর। সাধারনত তিন কারনে ব্যাংক খাতের শেয়ারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা এমনই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ ও শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের কাছে। তারা বলেন, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের গতি ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি কদর বাড়ছে। সামনে আরো বাড়বে।
কারণ অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর কাছে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের প্রতি রয়েছে ব্যাপক আস্থা। যদিও শেয়ারবাজারের মন্দা সময়ে এ খাতের প্রতি আস্থা কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার এ খাতের শেয়ারের প্রতি ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষকরা জানান, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ শেয়ারবাজার উন্নয়নের স্বাভাবিক গতি বাড়াতে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এ খাতের শেয়ার এখনো কিছুটা বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত। পাশাপাশি রয়েছে বিনিয়োগে সর্বোচ্চ আস্থাভাজন। তাই শেয়ারবাজারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। তারা আরো জানান, ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন এবং শেয়ার সংখ্যা বেশি।
যে কারণে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত এ খাতকে বিনিয়োগ প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আবার কোম্পানিগুলোর লেনদেন ও দর ওঠানামা অনেকটাই স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। অন্যান্য কোম্পানির মতো ঢালাওভাবে এ খাতের শেয়ার দর উত্থান-পতন হয় না। কয়েক বছর ব্যবসায়িক মন্দার কারণে বেশি মুনাফা দিতে পারেনি এ খাতের কোম্পানিগুলো। তারপরও অন্যান্য খাতের চেয়ে ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। শেয়ারবাজারের পতনের সময় বিনিয়োগকারীরা এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।
ফলে এ খাতে বাজার সেলপ্রেসার বেশি হয়েছিল। পাশাপাশি প্রফিট টেক করেছে, যার প্রভাব পড়েছে পুরো খাতের ওপর। কিন্তু বর্তমানে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যাংক খাতের শেয়ার ধারণ বা বিনিয়োগ করতে হবে। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়লে পুরনো লেনদেনের চমকে ফিরে আসবে বলে জানান তারা। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকের এক পরিচালক জানান, ব্যাংক খাতের শেয়ার সংখ্যা বেশি। শেয়ারবাজারে সব ব্যাংকের শেয়ার দর সামান্য বাড়লে পুরো বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
আবার সামান্য কমলে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। তাই ব্যাংকের শেয়ার দর খুব বেশি উত্থান-পতন হয় না। বিগত কয়েক বছরে এ খাতে শেয়ার দর খুব একটা ঊর্ধ্বমুখী হয়নি। কারণ ব্যবসায়িক মন্দা ছিল।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনারে উঠে এসেছে ব্যাংক খাতের ৩ কোম্পানি। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে এই কোম্পানির ৬ কোটি ৬৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহে শেয়ারটির প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংকের দর ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। সমাপ্ত সপ্তাহে শেয়ারটির প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। |
Subsets and Splits