document_id
stringlengths 36
36
| text
stringlengths 253
70.2k
|
---|---|
1daa31d5-0496-496a-8c3e-b4f15b8b8b9f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা চার কার্যদিবস ধরে সুচকের উর্ধ্বমুখীতে স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে পুঁজিবাজারে। ফলে গত কয়েক কার্যদিবস বাজারের এ গতিবধি ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার রুপ নিচ্ছে পুঁজিবাজার।
যার ফলে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশিাপাশি লেনদেন বাড়ছে। বাজারের এই গতি অব্যাহত থাকলে বাজারবিমুখ বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এদিন ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
মশিউর সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় রুপ নিচ্ছে। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক। বাজারের এই গতি অব্যাগত থাকলে আমরা নতুন করে বিনিয়োগমুখী হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি। গতকাল এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৬১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭১৯ পয়েন্টে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। |
b3fe8aab-1133-4056-a350-5a49db3d8f6b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পিডিবির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৫শ মিলিয়ন ডলার বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ খাতের অন্য কোম্পানিগুলোকে সিঙ্গাপুরের পুঁজিবাজারে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য অর্থনৈতিক পরামর্শক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে বিদেশের মার্কেটে বন্ড ইস্যু শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যুত্ কোম্পানিও বিদেশের বাজারে বন্ড ছাড়ার কথা জানায়।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারের পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। দাতা গোষ্ঠীর ঋণের জন্য বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য দেশের পুঁজিবাজারের পাশাপাশি বিদেশেও অর্থের উত্স খুঁজতে হবে।
আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে পিডিবি ৫০ কোটি ডলারের বন্ড ইস্যু করবে। এ অর্থ পিডিবি নিজের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে পারবে। চাইলে অন্য কোম্পানির মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে সফল হলে ধীরে ধীরে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের অন্য কোম্পানিগুলোও বন্ড ছাড়বে। প্রয়োজন হলে সরকার বিনিয়োগকারীদের সার্বভৌম গ্যারান্টি দিবে।
বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে এক সেকেন্ডের লোডশেডিংও আমরা চাই না। রপ্তানি ঋণ সহায়তায় (ইসিএ) অর্থায়ন বা দাতা সংস্থা থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করতে অনেক সময় লেগে যায়। দুই বছর আগে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু বা শেষ করতে পারলে তা থেকে অনেক বেশি সুবিধা ও লাভ পাওয়া যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোম্পানিগুলোর সম্পদ বিবেচনায় স্টক মার্কেট হতে প্রয়োজনীয় অর্থ নেয়া যেতে পারে এবং প্রক্রিয়াটিও তুলনামূলকভাবে কম সময় সাপেক্ষ। বিদেশের বন্ড মার্কেটে বিদ্যুত্ কোম্পানিগুলোকে প্রবেশ করাতে পারলে এর সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি বাংলাদেশেরও ব্র্র্যান্ডিং হবে এবং বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।
এ সময় বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলাম জানান, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বিদ্যুত্ কোম্পানি মূলধন যোগাড়ে সিঙ্গাপুরের বাজারে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম তার কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ছাড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ উত্পাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, বিদেশের বাজার থেকে অর্থ এনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও জনগণের কল্যাণে আমাদের এমন অনেক প্রকল্প নিতে হয় যেগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। এছাড়া বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এ ধরনের বিনিয়োগ অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে।
এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের কোম্পানিগুলোকে আরো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। শুধু বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। খরচ কমাতে হবে। কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সিস্টেম লস কমাতে হবে।
বিদ্যুত্ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিডিবির চেয়ারম্যান মো. শামসুল হাসান মিয়া, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদ সারওয়ার, পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আল বেরুনী, ইজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম জহিরুল মজুমদার প্রমুখ। |
b2fcc434-f0a0-4e81-981e-d17d8ea27218 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির টিআইবি অফিসে বার্ষিক সভায় সংস্থাটির সদস্যরা এ দাবি জানান। গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরাধ দমনে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবি জানান সংস্থার সদস্যরা।
সভায় একই সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকে আরও অধিকতর সম্পৃক্ত করে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন জোরদারের অঙ্গীকার করেন সদস্যরা। সভায় বলা হয়, দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা খাতে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সঞ্চয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে হবে।
অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুশাসনের পূর্বশর্ত এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের অন্যতম সহায়ক হাতিয়ার উল্লেখ করে সভায় বলা হয়, তথ্য অধিকার আইনে ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের সকল প্রতিকূলতা দূর করতে হবে।
সভায় টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। সভাপতিত্ব করেন টিআইবির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. শামসুদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সভায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ, স্বজনপ্রীতি, তদবিরসহ বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে প্রশাসন মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন টিআইবির সদস্যরা। এ ছাড়া সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পরিহারের আহ্বান জানান টিআইবি সদস্যরা। |
7f1bc80c-eb35-41ac-9e0b-d4dfc16a493e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকিং খাতের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের নিচে রাখার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা মানছে না ২৫ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৫ শতাংশের উপরে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক যেমন আছে, একই সঙ্গে আছে বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকও।
চলতি বছরের মার্চভিত্তিক স্প্রেডের পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনেই ব্যাংকগুলোর স্প্রেডের সীমা না মানার তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী নয়টি বিদেশী ব্যাংকের মধ্যে ছয়টিরই স্প্রেড ৫ শতাংশ বা তার বেশি। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৫ শতাংশের উপরে স্প্রেড রয়েছে ১৮টির। আর রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শুধু অগ্রণী ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধানের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। ব্যাংকগুলোর পক্ষে সবসময় আমাদের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলা সম্ভব হয় না।
যেসব ব্যাংক নির্দেশনার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত কঠোর হয় না। তবে কোনো ব্যাংক যদি নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে গাফিলতি করে, তাহলে তাদের ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি আমাদের সংশ্লিষ্ট শাখা তদারকি করছে।
মার্চভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অগ্রণী ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। যদিও সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের স্প্রেড ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের। মার্চভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকটির স্প্রেড ৯ দশমিক ৫৫। ব্যাংকটির আমানতের ক্ষেত্রে গড় ভারিত সুদহার ১ দশমিক ৭৮ ও ঋণের গড় ভারিত সুদহার ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বিদেশী অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার স্প্রেড ৮ দশমিক ৬৮, সিটিব্যাংক এনএর ৬ দশমিক ৭৪, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ৫ দশমিক ৬২, উরি ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৩ ও এইচএসবিসির ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি ব্র্যাক ব্যাংকের। মার্চভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকটির স্প্রেড ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বেসরকারি অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে দ্য সিটি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ দশমিক ৪৫, আইএফআইসির ৫ দশমিক ৭৮, পূবালীর ৫ দশমিক ৩১, উত্তরা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯, ঢাকা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪৯, ডাচ্-বাংলার ৭ দশমিক শূন্য ৯, ওয়ান ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬৭, এক্সিম ব্যাংকের ৫ দশমিক শূন্য ৬, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫ দশমিক শূন্য ৩, ব্যাংক এশিয়ার ৫ দশমিক শূন্য ২ ও ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
মার্চভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে পাঁচটিরই ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশিত সীমার চেয়ে বেশি। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৫ দশমিক ৪৯, মেঘনা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫৩, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৬ দশমিক ৫৮, এনআরবি ব্যাংকের ৬ দশমিক শূন্য ৬ ও মধুমতি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল আমিন এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ব্যাংকিং খাতে স্প্রেড কমে আসছে। গড় স্প্রেড এখন ৫ শতাংশের নিচে। আমানতের সুদহারের বিপরীতে ঋণের সুদহার কমার গতিতে ব্যাংকভেদে কিছুটা তারতম্য থাকতে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ও কিছু বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড ৫-এর চেয়ে অনেক কমে এসেছে। বিদেশী ব্যাংক ও কিছু বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড এখনো বেশি। এছাড়া ব্যাংকের কিছু ব্যয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমলে নেয় না। হিসাব-নিকাশে যা দেখা যায়, অনেক ব্যাংকের ক্ষেত্রে কার্যত তা আরো কম।
স্থায়ী কমিটিতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় নমনীয় সুদহার নীতিমালা প্রবর্তন করা হয়। এর আওতায় চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর আমানত ও ঋণের সুদহার নির্ধারণ হয়।
শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান নিম্নতর এক অঙ্ক পর্যায়ে অর্থাৎ ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি আনিস এ খান বলেন, দেশে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশ। এ রকম বোঝা নিয়ে ৫ শতাংশের আশপাশে স্প্রেড থাকলে নিঃসন্দেহে তা প্রশংসনীয়। আবার ঋণের সুদের হার কমার ধারাও অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় কিছু কিছু ব্যাংকের স্প্রেড ৩ শতাংশের আশপাশে থাকে। আসলে স্প্রেড সবসময় নিয়ন্ত্রণও করা যায় না। এটি ওঠানামা করে। |
e47636f2-2447-4f56-bda5-b69c21ea86c5 | চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ খুব দ্রুত বেগে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে পূর্বে জারি করা এলার্ট-টু নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বিকেল থেকে জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট-থ্রি ।
বন্দরের সব ধরনের পণ্য ওঠানামা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের যন্ত্রপাতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার (২০ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের জরুরি সভায় ঘূর্ণিঝড় “রোয়ানু” মোকাবেলা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থানরত সকল লাইটারেজ জাহাজকে বাংলাবাজার জেটির নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে অবস্থানরত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে ২ ঘণ্টার নোটিশে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙ্গরে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় বন্দরে এলার্ট-২ এর পরিবর্তে এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।’ বন্দর সূত্র জানায়, এলার্ট-থ্রি হলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ধাপ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫, ৬ অথবা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হলে বন্দরে এলার্ট-থ্রি জারি করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সকল উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। জেলা কন্ট্রোলরুমের নম্বর হচ্ছে ৬১১৫৪৫। |
42ddb084-84ea-4832-adff-af20f8747871 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা: শ্রীলঙ্কাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে এবার ভারতেও বড় ধরনের আঘাত হানতে যাচ্ছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এর আগে শ্রীলঙ্কায় ভূমিধস এবং বন্যাসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে কমপক্ষে ৫৮ জন এবং নিখোঁজ আছে শতাধিক মানুষ। এছাড়া রোয়ানুর প্রভাবে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
রোয়ানুর প্রভাবে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ আরো কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। দেশটির মাহাইল্লুপ্পালামা এলাকায় এক সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বর্ষণ সৃষ্টি করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে প্রদেশগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যাও। মারাত্মক বন্যা ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশও।
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েব সাইট ‘ওয়েদার ডটকম’ জানিয়েছে, রোয়ানু ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে না পারলেও প্রচুর বৃষ্টি ঝড়িয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে পাহাড়ি ঢল, আকষ্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণ ঘটাতে পারে। বন্যার স্থায়ীত্ব সপ্তাহব্যাপী হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে এসে বর্তমানে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে স্থির হয়ে আছে। রোয়ানু আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯৭ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১২১ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে, ওই শক্তির ঘূর্ণিঝড়কে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়োহাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হলে তাকে বলা হয় তৃতীয় ক্যাটাগরির সাইক্লোন।
ইতিমধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদায় ২৩৪ মিলিমিটার, তেলেঙ্গানার নার্সাপুরে ১৭০ মিলিমিটার এবং বাপাতলায় ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে অবশ্য চেন্নাইয়ের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। এর আগে সেখানে বৃষ্টিপাত ১৫০ মিলিমিটার অতিক্রম করেছিল। |
89fd1798-3731-48b3-a176-e47c092d8f01 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১৪ কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির হালচাল নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম অনুসন্ধানে নেমেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৪ কোম্পানির মধ্যে নয়টি মুনাফা দেখিয়েছে। এছাড়া ৫ কোম্পানি অবস্থা শোচনীয়। এসব কোম্পানি বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে আসছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এপ্রিল ও মে মাসে প্রকাশিত অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এই তথ্য বের হয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বৃদ্ধি পাওয়া এই নয় কোম্পানির মধ্যে সাতটি তৃতীয় প্রান্তিকের এবং দুটি কোম্পানি প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ইপিএস বেড়েছে যেসব কোম্পানির: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানির ইপিএস আগের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ৭৮ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৬৭ পয়সা। একই সময়ে এ্যাপেক্স ফুডসের ইপিএস ১৪০ শতাংশ বেড়ে ৫৩ পয়সায় উঠেছে। তবে নয় মাসে এই কোম্পানির লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা।
এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ২৭ পয়সায় উঠেছে; নয় মাসে ৯২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। এই সময়ে ফাইন ফুডসের ইপিএস ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ১১ পয়সা হয়েছে। তবে নয় মাসে এই কোম্পানির লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৬১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ৩৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি লোকসানে থাকা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজের তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। তবে নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা।
এ সময়ে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস ৬৮ শতাংশ বেড়ে ২ টাকা ২৭ পয়সায় উঠেছে; নয় মাসে ৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের ইপিএস ৪ শতাংশ বেড়েছে ৩১ টাকা ১৬ পয়সায় উঠেছে।
জেমিনী সী ফুডের ইপিএস দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ২৬ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ২৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।
ইপিএস কমেছে ফু-ওয়াং ফুডসের: তৃতীয় প্রান্তিকে খাদ্য খাতের এই কোম্পানির ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কমে ২৪ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ৪৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৫ পয়সা।
লোকসান হয়েছে চার কোম্পানির: তৃতীয় প্রান্তিকে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে ১০ পয়সা হয়েছে; ২৯ পয়সা লোকসান হয়েছে নয় মাসে। এই সময়ে রহিমা ফুড কর্পোরেশনের লোকসান কমে ১১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে হয়েছে ৪৪ পয়সা।
শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ারপ্রতি লোকসান তৃতীয় প্রান্তিকে কমে ১২ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে হয়েছে ৫১ টাকা ৭ পয়সা। এই সময়ে জিল বাংলা সুগার মিলসের লোকসান বেড়ে ১১ টাকা ২১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে লোকসান হয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। |
b46689e9-d3c9-4eed-8331-d5d1d7422156 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৪ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ১৯৭ পয়্ন্টে।
এছাড়া উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৩৩২ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। যার মধ্যে ডিএসইতে কমেছে ৩২০ কোটি টাকা এবং সিএসইতে কমেছে ১১ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮ টাকা। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৫১ টাকা। সুতরাং এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে কমেছে ৩২০ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইতে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ লেনদেনে কমেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে, ৫১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক ১ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৫টির, কমেছে ৮১টির, শেয়ার দরের কোনও পরিবর্তন হয়নি ২১টির এবং শেয়ার লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
এছাড়া টাকার অঙ্কে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, ডোরিন পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, মবিল যমুনা, লিন্ডে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা এবং বিএসআরএম স্টিল।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার কিছুটা বেশি। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কিছুটা বেশি।
গত সপ্তাহের মোট ৫ কার্যদিবসে সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৯৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ২৪০ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৩১৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে এবং সিএসই-৫০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করে ৯৯৯ পয়েন্টে।
তবে সিএসই-৩০ সূচক ১৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ৬৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিএসআরএম লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডোরিন পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, বিএসআরএম স্টিল, ইউনাইটেড পাওয়ার, এবং প্রিমিয়ার সিমেন্ট। |
80fb4b44-6189-4539-bafa-e863ef226651 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাতের শেয়ারের প্রতি নজর বিনিয়োগকারীদের। এ খাতের কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের ধীরে ধীরে ঝোঁক বাড়ছে। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাতের শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে তাদের অবদানও বাড়ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকছেন এ খাতের শেয়ারে।
ভালো লভ্যাংশের পাশাপাশি ভালো ব্যবসা হওয়ায় ৭৮টি কোম্পানির মধ্যে অর্ধশতাধিক কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অন্য খাতের কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে এ খাতের কোম্পানির শেয়ারগুলোতে ব্যবসা ভালো হওয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকছেন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের মন্দার মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে ডিএসই’র লেনদেনের ৫২ দশমিক ৮৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এ খাতের কোম্পানি থেকে। এর মধ্যে অধিকতর স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা থাকায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারে পচন ধরেছে।
বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা না থাকায় এসব কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে চলে এসেছে। পুঁজিবাজারে মহাধসের আগে ও তার পরের কয়েক বছর এ খাতের শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে কমছে। ডিএসইর পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণ একই অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে আগের দুই সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাত। আলোচিত সপ্তাহে এই খাতের লেনদেনের অংশ ছিল ২২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এই খাতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকার। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এই খাতে ১৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে এই খাতে প্রতিদিন মোট ৫০ কোটি ৬৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওষুধ-রসায়ন খাত ১৩ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই খাতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া বস্ত্র খাতে ৯ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৭ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৬ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ শতাংশ, আর্থিক ও খাদ্য-আনুসঙ্গিক খাতে ৪ শতাংশ, ভ্রমন-অবকাশ, আইটি ও সিরামিক খাতে ২ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি, ও বিমা খাতে ১ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে জানান, এ খাতগুলোতে বেশ কিছু ভালো সরকারি কোম্পানি তলিকাভুক্ত হওয়ায় ভালো মুনাফা পাওয়ার আশায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। তাই ধস পরবর্তী পুঁজিবাজারেও বছরের পর বছর ক্রমাগতভাবে পুঁজিবাজারে অবদান বাড়ছে। |
ac4cae0b-80ea-4dc7-a1fe-ccc1ac570171 | বরিশাল, চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। বরগুনা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়টি। শনিবার পৌনে ১টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ওই এলাকা দিয়ে বয়ে যায়। জানা যায়, রোয়ানুর প্রভাবে কয়েকটি উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। ২০-২৫ ফুট উঁচু হয়ে পানি এসে আঘাত করছে।
বাতাসের একটানা গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার। এসব এলাকার দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভেসে গেছে। হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপের বেড়িবাধঁ ভেঙে গেছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ উপেজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ কোনো তথ্য না জানালেও চট্টগ্রামের স্থানীয়রা অনুমান করছেন রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করছে। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, পৌনে ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হেনেছে। উপকূলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু ঢেউ উঠছে। ৮০ কিমি গতিবেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া। শনিবার (২১ মে) ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিন ১৮-তে জানানো হয় দুপুরের দিকে ‘রোয়ানু’ আঘাত হানতে পারে। তবে দুপুরের আগেই এটি আঘাত হেনেছে চট্টগ্রাম উপকূলে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস বইছে, সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত। এরই ফলে সীতাকুণ্ডে জঙ্গল ছলিমপুরের কালাপানিয়া পাহাড় এলাকায় ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, কালাপানিয়া পাহাড় এলাকার বাসিন্দা রফিকের স্ত্রী কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে বেলাল প্রকাশ আবু (১০)।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে প্রবল ঝড়ে ঘরচাপায় ভোলাতেও দুজনের মত্যু হয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলার শশিগঞ্জ গ্রামে মৃত এ দুজনের একজন গৃহবধূ এবং অন্যজন শিক্ষার্থী। নিহতরা হলেন- স্কুলছাত্র আকরাম, সে চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের মো. মফিজের ছেলে। একই গ্রামের রেখা বেগম, তিনি নয়নের স্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড়ে জেলার দশমিনা উপজেলায় শনিবার ঘর চাপায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ওই নারী সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা নয়া বিবি। এদিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এবং চর কুকড়িমুকড়ি ইউনিয়নে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার এই প্রতিবেদককে জানান, এলাকার একশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক গবাদি পশু জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই চরে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে জেলায় ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। |
39d84555-37d2-4aef-be81-09b1b6056992 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা : বাংলাদেশে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। ৮০ থেকে ৮৮ কিমি বাতাসের গতিবেগ নিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূল। শনিবার (২১ মে) পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। তবে এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঘটে গেছে দুর্ঘটনা। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ মে) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মা ও মেয়ে, ষোলশহরে এক শিশু, কক্সবাজারে দুজন, ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূ ও স্কুলছাত্র, দশমিনায় এক বৃদ্ধা, দৌলতখানে এক নারী, মনপুরায় নবজাতক ও লক্ষ্মীপুরে একজন, নোয়াখালীর হাতিয়ায় মা মেয়েসহ তিনজন, ফেনীর সোনাগাজীতে একজন প্রাণ হারিয়েছে।
চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড়ে সীতাকুণ্ডে জঙ্গল ছলিমপুরের কালাপানিয়া পাহাড় এলাকায় ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- কালাপানিয়া পাহাড় এলাকার বাসিন্দা রফিকের স্ত্রী কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে বেলাল প্রকাশ আবু (১০)। তাছাড়া নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় টিনের ঘরের চাল পড়ে রাজিব (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার: ঝড়ের সময় বাড়ির দেয়াল চাপা পড়ে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে মো. ইকবাল (২৫) ও নৌকায় বসে থাকা অবস্থায় অপর নৌকার ধাক্কায় উত্তর কৈয়ারবিল এলাকার ফয়েজুর রহমানের ছেলে ফজলুল হক (৫৫) মারা গেছেন।
ভোলা: প্রবল ঝড়ে ঘরচাপায় ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশিগঞ্জ গ্রামের নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম ও চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের মো. মফিজের ছেলে স্কুলছাত্র আকরাম মারা গেছে। একইভাবে দশমিনায় ঘরচাপা পড়ে সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা নয়া বিবি নিহত হন।
ঘরচাপা পড়ে দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রানু বিবি (৫০) মারা গেছেন। অপরদিকে, মনপুরায় সামিয়া নামে এক নবজাতক ঘূর্ণিঝড় চলাকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মারা যা। সে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা তসলিমের মেয়ে।
লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ উপড়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর তোওয়ারিগঞ্জ এলাকায় আনোয়ার উল্লাহ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি তোওয়ারিগঞ্জের বশির উল্লাহর ছেলে।
নোয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মিনারা বেগম (৪০) তার মেয়ে রুমা আক্তার (৯) জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়।একই ভাবে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছেন জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়ার গ্রামের সালাউদ্দিন ব্যাপারীর স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৫০)।
ফেনী: জেলার সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। |
91938d2b-5ec9-4201-8eb6-65e4e3fb4b24 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের উত্তোরণে ঘটাতো হলো দুটি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে। এর প্রথমটি হচ্ছে বাজারে ভালো শেয়ারের যোগান বাড়াতে হবে। আর দ্বিতীয় হলো, কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বোনাস শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে লক-ইন বা নির্দিষ্ট সময় বেধে দিতে হবে।
এমনটাই মনে করেন অর্থনীতিবিদ, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ। পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে জগোনিউজের সঙ্গে আলাপে তিনি নিজের এ মত তুলে ধরেন। আবু আহমেদ বলেন, বোনাস শেয়ার ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা কৌশলে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও অনেকটা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
ব্যাংকগুলোও তেমন বিনিয়োগ করছে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব আর তারল্য সঙ্কটে দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দরপতন। বাজার উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের মাঝে-মধ্যে দৌড়-ঝাঁপের পর ১০ থেকে ২০ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও আবারও দরপতন হচ্ছে।
এই শেয়ারবাজার বিশ্লেষক বলেন, এ দুরাবস্থা থেকে উত্তোরণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে বাজারে ভালো শেয়ারের যোগান বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশে ব্যবসা করছে এমন বহুজাতিক কোম্পানি, যেমন: ইউনিলিভার, নেসলে, বাংলালিংকসহ অন্যান্য কোম্পানিকে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
আবু আহমেদ বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে বর্তমানে তারল্য সঙ্কট রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি তাদের যেসব দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করছে না। এছাড়াও কোম্পানি ঘোষিত বোনাস শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা বিক্রি করে বাজার থেকে শত শত কোটি টাকা নিচ্ছেন। সেটা তারা বাজারে পুণরায় বিনিয়োগ করছেন না। যার কারণে বাজারে অর্থ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন কমছে।
উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য লক-ইন সময় বেধে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ লক-ইন সময় করতে হবে বোনাস ইস্যু করার প্রথম দুই বছর পর্যন্ত। যাতে করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা বোনাস শেয়ার বিক্রির অর্থ তুলে নিতে না পারেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নতুন কোম্পানির প্রসপেক্টাস প্রকাশনার তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য লক-ইন দেয়া আছে। প্রসপেক্টাস প্রকাশনার তারিখ না ধরে কোম্পানির বোনাস ইস্যু করার প্রথম দুই/তিন বছর পর্যন্ত লক-ইন দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আবু আহমেদ আরো বলেন, ভালো কোম্পানি আনার জন্য আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে আরো বেশি যাচাই-বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম নির্ধারণ কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার বিবেচনা করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মার্জার (একীভূত) সম্পর্কে তিনি বলেন, একই ধরনের পণ্য উৎপাদনে আছে এমন দুটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যাদের শেয়ার আছে বাজারে, তাদের মধ্যেই কেবল মার্জারের অনুমোদন বিবেচনা করা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে যে দুই কোম্পানি মার্জড হবে সেই কোম্পানির লাভ-লোকসান কত? লাভ হলে ট্যাক্স দিয়েছে কি না, তার দালিলিক প্রমাণ দেখা এবং দুই কোম্পানির সম্পদ মূল্য নতুন করে যাচাই করে রেগুলেটরের অনুমোদন দেয়া উচিত।
এক্সপোজার বিষয়ে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা (এক্সপোজার লিমিট) ইস্যুতে দীর্ঘ দিন বাজারে মন্দা অবস্থা বিরাজ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেয়ার না বিক্রি করে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করার নীতি সহায়তা দিয়েছে। তারপরও বাজারে লেনদেনে পুরোপুরি গতি ফিরে আসেনি। এতে বোঝা যাচ্ছে, এখনও বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়নি। আর শেয়ারবাজারে যতক্ষণ টার্নওভার না বাড়ছে, ততক্ষণ বাজারের উন্নতি হচ্ছে বলা যাবে না। |
90ca2534-7d1b-451b-a4ad-4ec1cc0b29b6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং লিমিটেড কোম্পানিটির শেয়ারের দর কোন কারন ছাড়াই সপ্তাহজুড়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল। আলোচিত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিকে তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জুলাই ‘১৫- মার্চ ‘১৬) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৬ টাকা যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.১৫ টাকা। গত তিন মাসে (জানুয়ারি’-মার্চ’১৬) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৪৩ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.০৮ টাকা।
এদিকে কোন কারন ছাড়াই এ শেয়ারের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহ বাজারে সুচকের উর্ধ্বমুখী প্রবনতা থাকলে এর প্রভাব নেই তাল্লু স্পিনিং কোম্পানিতে। বরং দরপতন ঘটছে। ফলে এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা দু:চিন্তা গ্রস্ত। আবার অনেকেই বলেছেন, সামনে মনে হয় কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষনা করবে। ভাল ডিভিডেন্ড না আসার প্রভাব পড়তে পারে। সব মিলিয়ে এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা দোটায় রয়েছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। ‘এ’ ক্যাটাগরি ভুক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
বর্তমান বাজারে এ কোম্পানিটির ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৫টি শেয়ার রয়েছে। যার মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। |
c4560ee3-6963-426a-8e31-941a69feee19 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে নেয়া ৩শ’ কোটি টাকা ৭ বছরেও ফেরত দেয়নি বেক্সিমকো ত্রুপের প্রতিষ্ঠান জিএমজি এয়ারলাইন্স। ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে এই টাকা নেয়া হয়। পরে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কিন্তু টাকা আর ফেরত পায়নি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। টাকার জন্য ঘুরছে হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী। আর টাকা ফেরত না দিলেও প্রভাবশালী এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিএসইসি। এজন্য বিনিয়োগকারীদেরও দায়ী করছেন তারা।
এদিকে শুধু পুঁজিবাজার নয়, মুদ্রাবাজারেও কেলেংকারি করেছে জিএমজি। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পুরোটাই কুঋণে পরিণত হয়েছে। আর ঋণ আদায়ের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই ব্যাংকের। বর্তমানে কোম্পানিটি বন্ধ।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। জানতে চাইলে শেয়ারবাজারে কারসাজি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এসব কোম্পানি। আমাদের রিপোর্টে কোম্পানিটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছিলাম।
কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। এসব ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান (আহমেদ সালমান ফজলুর রহমান)। সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ প্রশ্নে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করা হয়।
মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়বস্তু জানানো হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। কিন্তু এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি। দ্বিতীয় দফায় মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর রিপোর্টটি যাতে প্রকাশিত না হয় সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তদবিরও করেন।
জানা গেছে, আইপিওর (প্রাথমিক শেয়ার) আগে মূলধন বাড়াতে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারে কোম্পানি। শেয়ারবাজারের পরিভাষায় একে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বলা হয়। কিন্তু কোম্পানিটি শেষ পর্যন্ত বাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ না পেলে প্লেসমেন্টের টাকা ফেরত দিতে হয়। একইসঙ্গে যতদিন টাকা আটকে রাখা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের তার লভ্যাংশ দিতে হয়।
সূত্র জানায়, শেয়ারবাজার থেকে বড় অংকের মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশে ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে জিএমজি। এতে ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ার ৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সংঘবদ্ধ একটি চক্রের মাধ্যমে প্লেসমেন্ট বিক্রি করা হয়। ওই চক্রটি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে।
এদিকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার টাকার শেয়ার ১শ’ টাকায় রূপান্তর করে। পরবর্তীতে ১০ টাকা নিয়ে আসা হয়। ২০১০ সালে ১০ টাকার শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১৫০ টাকায় বাজারে আনার জন্য তথ্যপত্র প্রকাশ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
যেভাবে জালিয়াতি : ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জিএমজি এয়ারলাইন্স। পরের বছর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি ছিল। এ সময়ে মোট লোকসানের পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা। ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে ১ কোটি টাকা মুনাফা দেখায়। কিন্তু ২০১০ সালে অলৌকিকভাবে বেড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা। ওই বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মুনাফা দেখায়।
এছাড়াও রিপোর্টে ২০০৮ সালের স্থিতিপত্রে হঠাৎ করে ৩৩ কোটি টাকার পুনর্মূল্যায়ন উদ্বৃত্ত দেখানো হয়। এর ব্যাখ্যায় জিএমজি বলেছে, তাদের দুটি বিমানের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে বিমান দুটি বেশ পুরনো। স্বাভাবিক নিয়মে পুরনো বিমানের সম্পদের দাম আরও কমার কথা। কিন্তু আলাদিনের জাদুর চেরাগের মতো দাম বাড়িয়ে দেখিয়েছে জিএমজি। এভাবে ১৬৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে আরও ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছিল।
এখানেও ১০ টাকার শেয়ারে ৪০ টাকা প্রিমিয়াম চাওয়া হয়। ফলে প্রিমিয়ামসহ প্রস্তাবিত টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় আরও ৩০০ কোটি। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক রিপোর্টে জালিয়াতি ধরা পড়ায় ২০১২ সালে আইপিও আবেদনটি বাতিল করে বিএসইসি। নিয়ম অনুসারে আইপিও আবেদন বাতিল করার পর বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে টাকা আটকে রেখেছে জিএমজি। কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমান।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাস ছিল ৩৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু ৯ মাসের ব্যবধানে ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ দেখানো হয় ১১২ কোটি টাকা। একই সময়ে পার্কিংসহ অন্যান্য খাতে সিভিল এভিয়েশনের ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বকেয়া দেখানো হয়েছে।
আর এসব কাজে কোম্পানিকে সহায়তা করেন বিএসইসির সাবেক সদস্য সাহাবুল আলম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, ২০১০ সালের প্রথম ৯ মাসে জিএমজি এয়ারলাইন্স ৩৫ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি করেছে। কিন্তু ট্রাভেল এজেন্সি কমিশন, ভ্যাট, ট্যাক্স ওই সময়ে ৬০ শতাংশ কমেছে। নিয়মানুসারে টিকিট বিক্রি বাড়লে ভ্যাট, ট্যাক্স বাড়ার কথা। এ প্রসেঙ্গ দুটি মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি। প্রথমত, কোম্পানির আর্থিক রিপোর্ট সত্য নয়। আয়ের ভুয়া তথ্য দিয়ে শেয়ারবাজার থেকে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে নিয়েছে।
আর আর্থিক রিপোর্ট সত্য হলে কোম্পানিটি সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে কোম্পানির ফোন ও ফ্যাক্স বিল ৯২ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানির গ্রস মুনাফা বেড়েছে ১২০ শতাংশ এবং নিট মুনাফা বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ। আর পরিচালন ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। অর্থাৎ কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানির স্থিতিপত্র বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমরা মূলধন সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছি। এখানে প্লেসমেন্টের কথা বলা নেই। আর প্লেসমেন্টের মাধ্যমে যারা শেয়ার নিয়েছে, তারা কোম্পানির প্রচারণা এবং বুঝে শুনে শেয়ার নিয়েছেন। সবকিছুতে কমিশনকে দায়ী করলে হবে না।’ যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ার নিয়েছে, তাদেরও দায় রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা একটি নীতিমালা করে দিয়েছি। ওই নীতিমালা অনুসারে ১০০ জনের বেশি বিনিয়োগকারীর কাছে প্লেসমেন্ট বিক্রি করা যায় না।
সুত্র : যুগান্তর |
afb8d747-d9c6-4bc5-ab7b-6787c1ac049b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ‘আস্থা ফেরাতে’ ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে পাঁচ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে। আর এসব ইস্যু নিয়ে কাজ করলে পুঁজিবাজার দ্রুত স্থিতিশীল হবে। নতুন নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে। তাহলে পুঁজিবাজারে দ্রুত লেনদেন বাড়বে। একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের টিমের কাছে বাজার স্থিতিশীলতার ইস্যুর বিষয়ে উল্লেখ্য করেন।
ইস্যুগুলোর মধ্যে-বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আইপিও অনুমোদন না দেয়া, কোম্পানির স্পন্সরদের শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখা, বাজারে নতুন ফান্ড আনা বা দ্রুত লেনদেন বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করা, বাইব্যাক আইন চূড়ান্ত করা।
এছাড়া পুঁজিবাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। কারন বিনিয়োগকারীরা বহুবার বিনিয়োগ করে লোকসানের শিকার হয়েছেন। এবার যেন তাদের সেপথে যেতে না হয়। দেশের পুঁজিবাজারে পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে বলা যাবে না। ১৯৯৬ সালের বড় ধসের পর শেয়ারবাজার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ব্যাপক নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল।
তখনকার সময়ে পুঁজি হারানো হাজার হাজার মানুষের মধ্যে শেয়ারবাজার ছিল বড় আতঙ্কের নাম। ১৯৯৬ সালে পুঁজি হারানো এসব সাধারণ বিনিয়োগকারী তো বটেই, সাধারণ মানুষের মধ্যেই নতুন করে শেয়ারবাজারে অর্থ লগ্নি এখন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ১৫ বছর পর বিষয়টি ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে। ২০১০ সালে ফের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের পর আগের সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা চলছে নানাভাবে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পক্ষ থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তবে তা শেয়ারবাজারের কোনো কাজে আসেনি। ফলে দিনের পর দিন শেয়ার মূল্যের ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের বিপর্যস্ত করেছে।
এবং এর ফলে সাধারণ তথা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুঁজিবাজারের ওপর থেকে একরকম উঠেই গেছে। বিনিয়োগকারীদের একটি প্রধান অংশই শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মুনাফার টাকা লোকসান দেওয়ার পর মূলধনের বড় অংশ হারিয়ে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক স্মরনকালের দরপতনের পর থেকে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এর ফলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৯ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন খাত থেকে স্রোতের মতো টাকা প্রবেশ করলেও, সঠিক সময়ে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন শেয়ারের জোগান বাড়াতে না পারার কারণেই পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক আকাশচুম্বী প্রবণতা তৈরি হয়।
অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক বছরের মধ্যেই শীর্ষে পৌঁছে যায়। এ অবস্থায় একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েও বাজারের রাশ টানতে ব্যর্থ হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেই সঙ্গে তারল্য সংকট নামক আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বাজারকে আতঙ্কে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চাহিদা ও জোগানের অসামঞ্জস্যতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের বাজার থেকে মুনাফা তুলে নেওয়া এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন মহলের অপতৎপরতা, সরকারের উদাসীনতা নামক পক্ষসমূহ শেষ পর্যন্ত সর্বশেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে পুঁজিবাজার নামক কফিনে।
কিন্তু এসব কৃত্রিমতা বাজারকে কখনোই সচল রাখতে পারবে না, কারণ দীর্ঘমেয়াদি প্রণোদনাসমূহ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আগে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপসমূহ সুদৃঢ় হবে না। তাই এ অবস্থায় শেয়ারের দাম বাড়াতে হলে যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি এই মুহূর্তে, তা হলো শেয়ারের কার্যকর চাহিদা বাড়ানো।
এটা করতে হলে শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে হবে এবং এ জন্য বিনিয়োগকারীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মার্জিন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজারকে উৎপাদনশীল খাতে মূলধন জোগান দেওয়ার অন্যতম উৎস হিসেবে গড়ে তুলে জাতীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি মুদ্রাবাজারের নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংককেও সক্রিয় হতে হবে। গত এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক পদক্ষেপই পুঁজিবাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে যে অর্থ তুলে নিয়েছে, আইনি সীমার মধ্যে তার একটি অংশ আবার বিনিয়োগ শুরু করলে বাজারে গতিশীলতা নিশ্চিত হবে। শেয়ারবাজারে চাহিদা তৈরি করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তৎপরতা বাড়ালে বাজারে চাঙা ভাব ফিরে আসবে।
এতে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হয়ে লেনদেনে সক্রিয় হবেন। বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হতে হবে, বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে নিজস্ব মেধা দ্বারা, অন্যের সিদ্ধান্তে প্রভাবিত না হয়ে এবং মনে রাখতে হবে যে গুজবে কান দেওয়া যাবে না।
পাশাপাশি এই বাজার থেকে অনিয়ম দূর করতে হবে, যেমন শেয়ারের দাম হ্রাস পেলে যে রকম নজরদারি করা হয়, তদ্রূপ শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে নিয়ম তৈরি করতে হবে, স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে শেয়ারের দর নির্ধারণে কমিটি গঠন, বাইব্যাক আইন চূড়ান্ত করা, ডিমিউচুয়ালাইজেশন অব স্টক এক্সচেঞ্জ, রাইট শেয়ার বিধিমালায় পরিবর্তন, প্লেসমেন্ট সম্পর্কে আইন প্রণয়ন, ফোর্স সেলিং বন্ধ করা, অমনিবাস হিসাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা।
প্রয়োজনে সিএফএ (চার্টার্ড ফাইন্যান্স এনালাইসিস্ট) ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। কমিটিকে তিনটি ভাগে সাজিয়ে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে এভাবে, একটি দল শুধু দেশের দুটি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এনালাইসিস ও মনিটরিং করবে। আরেকটি দল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্রোকার হাউসগুলো মনিটরিং করতে পারে।
সর্বশেষ দলটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্য একটি ইনস্টিটিউটের মতো কাজ করতে পারে, যেখানে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ হবে বাধ্যতামূলক।
উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশ শেয়ারবাজারের সঙ্গে ফাইনানসিয়াল ডেরিভেটিভ ইনস্ট্রুমেন্টের পরিচয় ঘটাতে হবে, যা কিনা শেয়ার দরের অস্বাভাবিক ওঠানামা রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজারে বাধ্যতামূলকভাবে ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে যেসব বিনিয়োগকারী লোকসানে রয়েছেন, তাঁদের উচিত হবে সঠিকভাবে পোর্টফোলিও বিন্যস্ত করা এবং একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে ক্ষুদ্র মূলধনের কোম্পানির দাম যেমন দ্রুত বাড়ে, ঠিক তেমনি দ্রুত কমে।
অতএব, শেয়ারবাজারের দুর্দশা কাটানোর জন্য দরকার এর ইমেজটা ফিরিয়ে আনা। পুঁজিবাজার কোনো ফাটকা বাজার বা জুয়া খেলার স্থান না, এটি দেশের অর্থনীতিরই অংশ। শেয়ারব্যবসা থেকে লাভ করা মানেই দুষ্টচক্রের অংশ, জনমনে এমন ধারণা ঠিক নয়। এই পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে, মৌলভিত্তি দেখে, আস্থার সঙ্গে বিনিয়োগ করা। |
6dec693f-0ed8-48bb-a437-7a3a324b3ac2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থার মধ্যে দীর্ঘ চয় বছর পুঁজিবাজার অতিক্রম করেছে। এ ছয় বছরে নিষ্ঠুর ভাটা শুধু নিঃস্ব করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। এ নিঃস্ব হওয়ার পথ রোধ হয়ে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীদের মতে, নানামুখী পদক্ষেপে লেনদেন ও সূচকের স্থিতিশীল ধারা ধরে রাখা যেন সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের পর বাজার ভালো হবে এমন প্রত্যাশায় ছিল বাজারমুখী পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু কিছুতেই স্থিতিশীলতার দেখা মিলছে না। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া পদক্ষেপ এবার যেন বাজারকে স্থিতিশীল করে।
এ প্রসঙ্গে কয়েকজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বলেন, লেনদেনের স্বাভাবিক গতি না দেখে প্রতিনিয়তই বাজারবিমুখ হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এদের ঘুরে ফিরে আসে অতীতের হারানোর হাহাকার। তারপরও বাজারের ইতিবাচক স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। লোকসানের ভয় ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের মনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা আসছে না।
আস্থা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা। কিছুদিন আগেও নতুন বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কয়েক মাসের পতনে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সে প্রবণতা অনেক কমেছে।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মুনাফার আশায় নতুন করে বিনিয়োগ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক শেয়ার দর নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় তারা ভুগছেন হতাশায়।
বিনিয়োগকারী মুমেন বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্র অবস্থায় শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। তখন ধারণা ছিল অনেক ব্যবসার মধ্যে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করে বেশি মুনাফা করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসা ভালোই মুনাফা করেছি। কিন্তু ২০১০ সালের বড় ধরনের পতনে বিশাল লোকসানের মুখে পড়েন। এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পুঁজি হারানো তালিকা হচ্ছে বড়। তারপরও বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা রাখা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর তাই অতিদ্রুত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজারের লেনদেনের গতি স্বাভাবিক রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া বাজার নিয়মিত মনিটরিং করে চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখান থেকে খুব বেশি পতনের সম্ভাবনা নেই। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আভাস দেখা গেলে বাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তখন শেয়ার সংগ্রহ করাই মুশকিল হবে। তাই বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতির শিকার হয়ে শেয়ার হাত ছাড়া না করেন সেই বিষয়ে তারা বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেন। |
9ceebc9f-3666-4265-9b83-3d1a414ea22b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সুচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বাজারে নতুন করে কারেকশন নাকি কারসাজি বাজারের লক্ষন এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা কৌতুহলের শেষ নেই। আবার অনেকেই বলেছেন আজকের সুচকের দরপতন ইতিবাচক লক্ষন। কারন টানা কয়েক কার্যদিবস ধরে সুচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখী ছিল। আর প্রফিট টেকিং কারনে কিছুটা দরপতন হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
আজ ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ দশমিক ০৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স কমেছে ৫৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট। এছাড়া উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৩৯২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৮ পয়েন্টে এবং ১১ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১৯৭টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা, ডোরিন পাওয়ার, খান ব্রাদার্স ওভেন, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস এবং বিএসআরএম লিমিটেড।
অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৫ কোটি টাকার বেশি।
আজ সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৫৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৯৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪৪৪ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ৯৮৮ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৭৫ দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ২৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- শাহজিবাজার পাওয়ার, খান ব্রাদার্স ওভেন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডোরিন পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, মবিল যমুনা, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিএসআরএম লিমিটেড। |
eb581a5b-5f1b-4595-89f4-dc2a2a5d883e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে আস্থা সংকট থাকায় বাজারে বিনিয়োগমুখী হতে পারছে না। এছাড়া বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করার পরিবেশও এখনো সৃষ্টি হয়েনি বলে মনে করছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার আচরন বাজারের জন্য ইতিবাচক নয় বলে মনে করছেন।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন কাজ করছেন না বরং তিনি তার ব্যক্তি স্বার্থ কাজ করছেন এমন অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব কারনে নতুন করে বিনিয়োগ তৈরি হচ্ছে না। তাই পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে নতুন করে বিনিয়াগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
দেশের দুই পুঁজিবাজারে একদিকে রয়েছে তারল্যের সঙ্কট অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব। বাজার উন্নয়নে সকারের নেওয়া নানা উদ্যোগও কাজে আসছে না। ফলে দীর্ঘ দিন পুঁজিবাজারে চলছে অস্থিরতা। আর বর্তমান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট ও তারল্য সংকটের কারনে বাজার ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না।
বর্তমান বাজার নিয়ে সরকারসহ নীতি নির্ধারকরা বাজার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। তবে গত চার কার্যদিবস ধরে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে বাজার আগাতে শুরু করলেও লেনদেন বাড়ছে না। সুচকের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের গতি বাড়তে থাকলে বাজার দ্রুত এগাতো বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকিং খাতে পর্যাপ্ত তারল্য থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা বিনিয়োগ করতে পারছে না পুঁজিবাজারে। ফলে অর্থ সঙ্কটে ভুগছে পুঁজিবাজারর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিসহায়তার কারনে ১০টি ব্যাংক এক্সপোজার সমন্বয়ের পর বিনিয়োগের জন্য বাড়তি যে সুযোগ পাচ্ছে সেই যদি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে তাহলে দ্রুত পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবো।
গত কয়েক দিনের বাজার মূলধনের তুলনায় পুঁজিবাজারে বর্তমান দৈনিক লেনদেন খুবই নগন্য পরিমাণ। এক কথায় দৈনিক লেনদেনে তীব্র ভাটা চলছে। এমতাবস্থায় বাজারকে ঘিরে আস্থা সংকটে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে সার্বিক পুঁজিবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাই বাজারকে স্থিতিশীল করতে নীতিনির্ধারণী মহলের যুগপোযোগী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তারা।
জানা যায়, লেনদেন কমার কারণে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিরতার বৃত্তে আটকে যাচ্ছে। একসময়ের হাজার কোটি টাকার দৈনিক লেনদেন এসে ঠেকেছে তিনশো কোটির ঘরে। এতে নতুন বিনিয়োগে নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি মূলত ৩ ইস্যুকে ঘিরে পুঁজিবাজারে লেনদেন ভাটা পড়েছে।
জানা গেছে, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী, সিকিউরিটিজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মার্জিন লোনে আটকে যাওয়া,যে দরে শেয়ার কেনা হয়েছে বর্তমানে তার অর্ধেকে নেমে আসা,সেকেন্ডারির বেহাল দশায় প্রাইমারি মার্কেটে (আইপিও) আগ্রহ বেশি থাকায় লেনদেন এতো কম হচ্ছে। ডিএসইর বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৭৪৩ কোটি টাকা (১৩ মার্চ ২০১৬) এবং সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি টাকা ( ১৫ মে ২০১৬)।
এদিকে গত বছরের ১ জুন সর্বশেষ হাজার কোটি টাকায় লেনদেন হয়। এদিনে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ০০২ কোটি ৩৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা। তারপর থেকে এ পর্যন্ত একদিনও দৈনিক লেনদেন হাজার কোটির ঘরে পৌছায়নি। চলতি বছরের বেশিরভাগ কার্যদিবসে দৈনিক লেনদেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটির ঘরে অবস্থান করেছে। ফলে বর্তমান বাজারের পিই রেশিও অনুযায়ী বিনিয়োগ উপযোগী হলেও আস্থা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। আর এর নেপথ্যে উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অধিকাংশ সিকিউরিটিজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা মার্জিন ঋণ দিয়েছে। এর অর্ধেক সরবরাহ করা হয়েছে সিকিউরিটিজ হাউজ এবং বাকি অর্ধেক দিয়েছে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এসব ঋণের সিংহভাগই নিয়েছেন মাত্র কয়েক হাজার গ্রাহক। এক্ষেত্রে মোট মার্জিন ঋণের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৫০০ গ্রাহক। এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ গ্রাহকের ঋণের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা। এদিকে বিগত পাঁচ বছরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল থাকায় অধিকাংশ বিনিয়োগকারী মার্জিন লোন পরিশোধ করেনি। ফলে চক্রবৃদ্ধিহারে প্রতিনিয়তই ঋণের সুদ লোনের সঙ্গে যোগ হয়ে সুদ-আসল প্রায় সমান হয়ে গেছে।
অপর দিকে মার্জিন লোন আদায় করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের আর্থিক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে ঋণ দেয়া হাউজগুলোর পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন কমে যাচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ লোকসানে শেয়ার নিয়ে বসে থাকা,নিটিংয়ে ঝুঁকে নগদ টাকা আটকে যাওয়া,অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর নতুন করে বিনিয়োগের জন্য তারল্য সংকট থাকা লেনদেন কমার আরেকটি অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে সেকেন্ডারি মার্কেটের এরকম বেহাল দশায় বিনিয়োগকারীরা প্রাইমারি মার্কেটের দিকে ঝুঁকছে। যেখানে আগে বাজারে বিরুপ প্রভাব থাকলে একাধিক কোম্পানির আইপিওতে আন্ডারসাবস্ক্রাইব হতো: সেখানে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি আগের তুলনায় খারাপ থাকা সত্ত্বেও ওভার সাবস্ক্রাইব হচ্ছে।
এমনকি বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিয়ে আইপিও আবেদন করার পরও ওভার সাবস্ক্রাইব হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করা প্রতিটি কোম্পানির ক্ষেত্রে কয়েকগুন আবেদন জমা পড়েছে।
বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছে, সেকেন্ডারি থেকে প্রাইমারিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত। কারণ এসব কোম্পানির লেনদেন শুরুর ক্ষেত্রে আর যাই হোক লোকসান হয় না। বিনিয়োগকারীদের এমন ধারণায় প্রাইমারি মার্কেট চাঙ্গা হলেও সেকেন্ডারি মার্কেট বিপত্তির মধ্যে পড়ছে।
এ ব্যাপারে বাজার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, মার্জিন লোনের যাতাকলে আসলে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও ফেঁসে গেছে। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রয়েছে। যেগুলো কাজে লাগালে বাজারে তারল্য সংকট কেটে যেতো। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে আইপিওর দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। তবুও বাজারে ভালো কোম্পানি আসলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তারা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মার্কেট সার্পোটের কারণে বাজারে সূচক বাড়ছে। তবে সাধারণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা না ফেরায় এখনো পুঁজিবাজারে লেনদেনের সংকট বিরাজ করছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কেটের প্রতি কেউ আস্থা রাখতে পারছেন না। বিনিয়োগকারীরা চাইছেন হাতে থাকা শেয়ার ভালো দামে বিক্রি করে দিতে। কিন্তু নতুন করে কেউ বিনিয়োগ করছেন না। তাই লেনদেন বাড়ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন নতুন ফান্ড। বাজারে নতুন করে যতো ফান্ড আসবে বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থা ততো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মনে করেন, মন্দা বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় আইপিওতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অনেক বেশি কোম্পানির অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার বেশিরভাগ আবার দূর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি। ফলে সেকেন্ডারি মার্কেটে এসব কোম্পানি আসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই নতুন করে বিনিয়োগ করতে কেউ সাহস পাচ্ছেন না। |
fdc475ce-4fae-4ce7-8c25-ab72704fb995 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের (এমজেএলবিডি) পরিচালনা পর্ষদ ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করেছে। তবে রেকর্ড ডেট অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অর্থবিল ২০১৫ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে কোম্পানিটির এজিএম স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে কোম্পানিটি আগামী ১৬ জুলাই এজিএম করার ঘোষণা দিয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানির হিসাব বছর জুনে শেষ হবে। এরপরে কোম্পানিটি এজিএমের নতুন তারিখ ঘোষণা করবে।
কোম্পানিটি আরও জানায়, কোম্পানির ঘোষিত ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ অপরিবর্তিত থাকবে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অর্ন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসাবে বিবেচিত হবে।
এই লভ্যাংশের টাকা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠানো হবে। আর ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ আসন্ন এজিএমে বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বিএসইসির ৫৭০তম সভায় ব্যাংক-বিমা- আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে একই অর্থ বছর অনুসরন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অর্থাৎ জুলাই থেকে জুন আর্থিক বছর অনুসরণ করতে হবে, যা আগামী ১লা জুলাই ২০১৬ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। |
fe38b3dd-b9ef-4932-a574-4a1e6bfbc9c5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সুচকের উঠানামার মধ্যে লেনদেন চলছে। আজ লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে বস্ত্র খাতের শেয়ারের একক প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর বাড়ছে। দর বাড়ার তালিকায় রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার।
আজ বেলা সাড়ে ১২.৫০ টা পর্যন্ত ডিএসইতে ১৮১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার এই সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির। |
b5fb6551-6e23-4f89-a897-e3b142f9a4a6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের উর্ধ্বমুখী প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সকালে লেনদেনের শুরুতে নিন্মমুখী প্রবনতা থাকলেও দিনশেষে সুচকের গকি বাড়তে থাকে। বস্ত্র খাতের কোম্পানির কমছে করপোরেট ট্যাক্স।
বৈঠকে এমন প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার ঘোষণায় বৃহস্পতিবার দুপুরে টেক্সটাইল খাতের অনেক কোম্পানির শেয়ার দর ঊর্ধমূখী অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অন্য খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়লেও টেক্সটাইল খাতের প্রাধান্য বেশি।
ডিএসইতে বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই খাতের ৪৪ টি কোম্পানির মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে দর কমেছে মাত্র ৪টির। শেয়ার লেনদেনে বন্ধ একটি কোম্পানি বাদে ৫টি কোম্পানির দরে সমতা লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে কম-বেশি দর বেড়েছে সবগুলো কেম্পানির। দর বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। গতকাল এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭০৭ পয়েন্টে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আসন্ন জাতীয় বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট ট্যাক্স, অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানি শুল্কমুক্ত এবং রফতানি খাত হিসেবে খাতকে বুধবার ভ্যাটমুক্ত করার আহ্বান জানায় তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। এরপরে বৃহস্পতিবার পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে হাওয়া লাগে। এমনটাই ধরনা করছেন অনেকে।
বিজিএমইএ পোশাক খাতের করপোরেট টেক্স ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ এবং অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে পাঁচ শতাংশের স্থলে শুল্কমুক্ত করার আহ্বান জানান। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবর রহমানসহ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও এনবিআরের ১০ সদস্যে একটি প্রতিনিধি দল।
সূত্র জানায়, তৈরি পোশাকশিল্পকে টেক্স কম্পালাইন্স খাত শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা দিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এজন্য তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং এনবিআরের মধ্যে বুধবার এক মতবিনিময় সভা হয়। এ বৈঠককে উভয় পক্ষই পার্টনারশিপ সভা বলে একমত হয়েছেন। এনবিআরের প্রত্যাশা-প্রতি তিন মাস পরপর এই বৈঠক হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এনবিআরের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া তৈরি পোশাক খাতের অটোমেশনসহ ২০২১ সালের পোশাক খাতের ৫০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়।
মাহমুদ হাসান খান বাবু জানান, এনবিআরের সঙ্গে বিজিএমইএ অনানুষ্ঠানিক এই বৈঠকে আসন্ন বাজেটে করপোরেট টেক্স ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা এবং অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে পাঁচ শতাংশের স্থলে শুল্কমুক্ত করার জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয় এনবিআরকে। |
8a4a7eb4-4473-41e6-b6a9-9876d1883cf5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার ধীর গতিতে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। আজ লেনদেনের শুরুতে সুচকের দরপতন হলে ও দিনশেষে সুচকের উন্নতি হয়েছে। এটা স্থিতিশীল বাজারের লক্ষন। কারন বুধবার সুচকের কিছুটা কারেকশন হলে বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা বুধবার শেয়ারবার্তা হেডলাইনে লিখছিলাম কিছুটা কারেকশন, আঙ্কিত হওয়ারে কিছু নেই। বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দাঁড়াবো। আজ তাই হলো।
তাই বিনিয়োগকারীদের বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধরার কোন বিকল্প নেই। দেখে শুনে বিনিরেয়াগ করলো লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন বর্তমান বাজারে মাঝে মধ্যে কিছু না কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর তো আকাশচুম্মী বাড়ছে। যারা লেনেদেনের গ্রাফ দেরখ বিনিয়োগ করছে তারাই তো লাভবান হচ্ছে। তাই বুঝে শুনে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এদিকে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস অনুযায়ী সপ্তাহের শেষ কার্জ দিবসে ঢাকা শেয়ার বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়- ডিএসইএক্স ইনডেক্স লেনদেনের শুরু থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এবং লেনদেন উভয়ই বাড়তে থাকে এবং দিন শেষে ডিএসইএক্স ইনডেক্স বুলিশ ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি করে। ডিএসই এক্স ইনডেক্স ২১.৯৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৫০ পয়েন্টে এবং রেজিটেন্স ৪৪৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ বাজারে এম.এফ.আই এর মান ছিল ৬৮.৯৮ এবং আল্টিমেট অক্সিলেটরের মান ছিল ৬১.৯৭। ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর জঝও এর মান হচ্ছে ৫৭.২০।
ডিএসইতে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬১ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়, যার মূল্য ছিল ৩৪৯ কোটি টাকা। ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি টাকা। ঢাকা শেয়ারবাজারে ৩১৪ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১ টির, কমেছে ৯৯ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৪ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ঝপৎববহংযড়ঃথ১
পরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে দেখা যায়, বাজারে চাহিদা বেশী ছিল ১০০-৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৯.৬৬% বেড়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে ৩০০ কোটি টাকার উপরে পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৯.০১% বেশী। অন্যদিকে ০-২০ এবং ২০-৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মুলধনী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমান গতকালের তুলনায় ১৮.০২% এবং ৯.৮৫% কমেছে।
পিই রেশিও ৪০ এর উপরে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫.২২% কমেছে। অন্যদিকে পিই রেশিও ২০-৪০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৭.৮২% বেড়েছে। ক্যাটাগরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৪৭.৬২% বেশী ছিল। বেড়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৩৫.৭২% বেশী ছিল। |
054c9aae-51e6-4bae-86bf-df62db93fef5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৪৪টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বাড়ছে। এসব কোম্পানি মুনাফা করায় তাদের আয়ের পরিমা্ন বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদের ৩৩টি কোম্পানির অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ২৭টি কোম্পানি মুনাফায় ও ৬টি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।
মুনাফায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬টির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের তুলনায় বেড়েছে; কমেছে ১১টির। বাকি ৬টির মধ্যে লোকসান বেড়েছে একটির, মুনাফা থেকে লোকসান করেছে ৫টি।
আজ ডিএসইতে বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই খাতের ৪৪ টি কোম্পানির মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে দর কমেছে মাত্র ৪টির। শেয়ার লেনদেনে বন্ধ একটি কোম্পানি বাদে ৫টি কোম্পানির দরে সমতা লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে কম-বেশি দর বেড়েছে সবগুলো কেম্পানির।
দর বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। গতকাল এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭০৭ পয়েন্টে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আসন্ন জাতীয় বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট ট্যাক্স, অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানি শুল্কমুক্ত এবং রফতানি খাত হিসেবে খাতকে বুধবার ভ্যাটমুক্ত করার আহ্বান জানায় তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। এরপরে বৃহস্পতিবার পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে হাওয়া লাগে। এমনটাই ধরনা করছেন অনেকে।
বিজিএমইএ পোশাক খাতের করপোরেট টেক্স ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ এবং অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে পাঁচ শতাংশের স্থলে শুল্কমুক্ত করার আহ্বান জানান। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবর রহমানসহ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও এনবিআরের ১০ সদস্যে একটি প্রতিনিধি দল। |
dcd2d232-f746-439f-aa63-872176f4465a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে উত্তাল পাতাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখীতে আশার আলো দেখতে শুরু করছেন বিনিয়োগকারীরা।
তারা আগামী সপ্তাহে বাজার স্থিতিশীল দেখতে চায়। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক আরো কঠোর হতে হবে। তেমনি দ্রুত লেনদেন বাড়াতো হবে। লেনদেন বাড়লে বাজার দ্রুত স্থিতিশীল হবে।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে পবিত্র শবেবরাতের ছুটি থাকায় আলোচিত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ১১ শতাংশ বা ৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ০৮ শতাংশ বা দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। |
3da39a92-49e6-4986-b9c8-de51829e4613 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ৭২৫টি শেয়ার ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে এই কোম্পানির। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচিত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১২২ টাকা ৯০ পয়সা দরে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড।
সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৩৩টি শেয়ার ৫১ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারটির দর ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। শেষ কার্যদিবসে শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয় ৭৩ টাকা ৪০ পয়সায়।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে ছিল এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ১০৪টি শেয়ার ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় লেনদেন করেছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারটির ১১ দশমিক ২১ শতাংশ দর কমেছে। শেষ কার্যদিবসে শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয় ৯৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মা কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। |
bf543b3e-32d2-4b0f-8a7a-30695b8afc9c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: মাদারীপুর সদরে সেতুর রেলিং ভেঙে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে নয়জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাসটি সেতুর রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়। বাসটি সুগন্ধা পরিবহনের। প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ঝালকাঠির রাজাপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (৪০) ও সুজন ফকির (২৮), বরিশালের উজিরপুরের নারকোলি গ্রামের হীরালাল বাড়ৈ (৬০) ও নতুনবাজার এলাকার আলী হোসেন (৫২),
ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার টিটু মিয়া (৩৫) ও ঝালকাঠীর তারাবোলিয়া গ্রামের সুফিয়া বেগম। এঁদের মধ্যে মিজানুর বাসের চালক, আলী হোসেন বাসের সুপারভাইজার আর টিটু বাসচালকের সহকারী ছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজন নারী।
দুর্ঘটনার পরপরই ওই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন বাসের যাত্রীরা নেমে উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাত আটটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আহত কয়েকজন যাত্রী জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা হয়। বাসটি মাদারীপুরের টেকেরহাট স্ট্যান্ডে এসে আরও কিছু যাত্রী ওঠায়। বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার সমাদ্দার সেতুতে ওঠার মুখে বাসের সামনের চাকা ফেটে যায়। তখন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু করেন। পরে মাদারীপুর সদর থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে চারজন মারা যান।
আহত বাসযাত্রী মেহেদী হাসান চিকিৎসা নিচ্ছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে। তিনি বলেন, বাসটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। অনেক দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি সেতুতে ওঠার সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে খালে পড়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানালা ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। নিহত ব্যক্তিদের লাশ রাখা ছিল মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে। সেখানে শুধু হীরালাল বাড়ৈয়ের এক স্বজনকে পাওয়া যায়। লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন তার ভাইয়ের স্ত্রী বকুল রানি।
তিনি বলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবারি এলাকায় কুম্ভ মেলায় অংশ নিয়ে হীরালাল ও তার স্ত্রী ঊর্মিলা বাড়ৈ বরিশালে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। এই বাসে উঠতে না পেরে তিনি (বকুল) ও তার স্বামী পেছনের বাসে ওঠেন। দুর্ঘটনায় ঊর্মিলা বাড়ৈ আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শশাঙ্ক কুমার ঘোষ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ৩৪ যাত্রীকে এখানে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ১০-১১ জন যাত্রীকে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সরোয়ার হোসেন বলেন, নিহত ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। এখনো সবার স্বজনেরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি। যাঁদের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। |
74eeeac0-95ad-41a7-a0b4-0cf8af84b68c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুটতরাজ ঘটনায় সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, সরকারকে তার নীতি কৌশল পরিবর্তন করে সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে শিল্পের বিভিন্ন সেক্টরে এবং বৃহৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসতে হবে।
আর এটা করতে না পারলে তা সরকারের ব্যর্থতা, তবে এটা পারা উচিত, কারণ সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। সরকারের হাতে একটি মাত্র ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক) রেখে আর সব সরকারী ব্যাংক বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে একটি সপ্তাহকে। মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেরে মানুষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে শুক্রবার অফিস করে। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়?
শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) বাজেট বিষয়ক একটি ধারাবাহিক কর্মসূচীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পিআইবির সহযোগিতায় ঢাকায় কর্মরত অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরইফ) এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
সরকারকে ফরাসউদ্দিনঃ লিস্টেড নন লিস্টেড সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর করুন অনুষ্ঠানে ড. ফরাসউদ্দিন, দেশের ব্যবসা বানিজ্যের স্বার্থে লিস্টেড নন লিস্টেড ভেদে সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর করার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিত জুলাই থেকে জুন অর্থবছরের পরিবর্তে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর অর্থবছর চালু করা । আর এটা আমাদের দেশে একসময় ছিল।
কিন্তু পাকিস্তান আমলে জুলাই-জুন অর্থবছর চালু হয়, যা এখনো আছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য জানুয়ারিতে অর্থবছর শুরু হওয়া ভালো। এসময় বৃষ্টি বাদল নেই, মানুষের মন প্রফুল্ল্ থাকে। আর মে-জুন মাসে মাটির কাজ শুরু করলাম, পানির নিচে চলে গেলে। বিল করলাম টাকা তুললাম, এটা বড় লুট। এতে যারা সুবিধাবাদী তারাই লাভবান হয়।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশ ৬ দিনের সপ্তাহ শুধু আমরাই পারলাম না। আমাদের শুক্রবার-শনিবার ছুটি হওয়ায় এবং বাইরের দেশগুলোতে রোববার ছুটির দিন হওয়ায় আমরা সপ্তাহে চারদিন ওয়ার্কিং ডে পাই। এটা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে ব্যাংক, শেয়ারবাজার, উৎপাদন, অগ্রগতি সবই ব্যাহত হচ্ছে।
ই-কমার্স সেক্টরকে করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সবাই এখন এদিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, এদেরকে কোন ভ্যাট দিতে হয় না। কত বিক্রি হল, কত প্রবৃদ্ধি হল তার কোন হিসাব নেই। আমি বলব এ খাতকে করের আওতায় আনেন, অনেক রেভিনিউ আসবে। |
a9cc68ad-a6cf-440c-99fa-aa4ed62d4057 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি শাহজীবাজার পাওয়ারের সাবসিডিয়ারিটির বার্ষিক রিভিনিউ বাড়বে ৭৩ কোটি টাকা। এতে কোম্পানির যে আয় হতো তার চেয়ে এখন একটু কমবে। তবুও শাহজীবাজারের ইপিএস বাড়বে। কোম্পানির শীর্ষ এক কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
কোম্পানির ১৮ মাস ধরে মার্জিন সুবিধা বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকাীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিশন কবে থেকে চালু করবে এটা কমিশন বলতে পারবে। কারণ মার্জিন সুবিধা প্রত্যেকে চায়। তবে এনিয়ে কতা বরার ইখতিয়ার আমাদের নেই। কেননা, এটা নিয়ন্ত্রণ করছে কমিশন।
২০১৪ সালে কোম্পানির শেয়ার দর ৩৫ টাকায় শুরু হয়। এরপরে নভেম্বরে তা ৩৪০ টাকায় অবস্থান নেয়। যে কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৯ নভেম্বর থেকে বন্ধ করা হয় মার্জিন ঋণ এবং শুরু হয় স্পট মার্কেটে লেনদেন। তা এখন পর্যন্ত তুলে নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শাহজিবাজার পাওয়ার লিমিটেডের (এসপিসিএল) শেয়ারের মূল্য কারসাজির অভিযোগে প্রাইম ইসলামি সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ ও প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটালসহ ৯ প্রতিষ্ঠান এবং ৮ ব্যক্তিকে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন যাদের জরিমানা করেছে তার দিতে বাধ্য। আমাদের শাহজিবাজার পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেট্রম্যাক্স রিফাইনারিকে যে জরিমানা করা হয়েছিল, তা প্রদান করা হয়েছে। সেসময়ে আমাদের ওপর প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ১২৩ জন কর্মীর প্রত্যেক বিও হিসার এবং প্রত্যেকের পরিবারের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজন সবার তথ্য দিতে হয়েছে। তবে এখন আমরা বেশ ভালো আছি।
কোম্পানির শেয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কোন উদ্যোক্তা এখন পর্যন্ত কোন শেয়ার বিক্রি করেনি। এখনো কমিশন যদি কোন বাইন্ডিংস না দেয় তাহলে আবার বোড়তে শুরু করবে। কারণ, ৭৩ কোটি টাকা রেভেনিউ দিয়েও থাকবে।
আগে ইপিএস বেশি হতো, এখন তা না হয়ে কম হলেও বাড়বে। আরো কারণ রয়েছে, কোম্পানির উদ্যোক্তারা ৭৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে বলে তিনি জানান। |
da9186b2-d38b-4db9-83f5-43c40a3707ff | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড রিফাইনারি স্থানীয় ও আমদানি করা কনডেনসেট (প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজাত) পরিশোধন করে তেল উৎপাদন করে তাদের কাছ থেকে নতুন দরে তেল ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বর্ধিত এ দরে সকল প্রকার জ্বালানী তেল বিক্রয় করবে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড। এতেপ্রায় ৭% মুনাফা বাড়বে কোম্পানিটির। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বর্ধিত এ দর অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৫৫.৯৪ টাকা থেকে ২.০৬ টাকাবা ৩.৬৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৯ টাকা, যার মূল্য বর্তমানে ৫৫.৯২ টাকা । লিটার প্রতি কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩.০৮ টাকা বা ৫.৫০ শতাংশ। পেট্রোলের দাম লিটারে ৩.৭১ টাকা বা ৬.৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি অকটেনের নতুন দর হয়েছে ৬৭ টাকা, যা ছিল ৫৮.২৭ টাকা । সে হিসেবে প্রতি লিটার অকটেনে দাম বেড়েছে ৮.৭৪ টাকা বা প্রায় ১৫ শতাংশ। আর নতুন দরে জ্বালানী তেল বিক্রিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ মুনাফা বাড়বে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় রিফাইনারিগুলো থেকে বাড়তি দামে জ্বালানি তেল ক্রয়ের লক্ষ্যে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে গত ২৪মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রকার ভেদে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সর্বনিম্ন ৩.৬৮ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে জ্বালানি তেলের নতুন এই দর রিফাইনারি থেকে বিপিসির তেল কেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
বর্তমানে দেশে বেসরকারি খাতের ১০টি রিফাইনারি কনডেনসেট থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির জ্বালানি তেল উৎপাদন করে থাকে। এর মধ্যে সিভিও পেট্রো সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অন্যটি শাহজিবাজার পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড। |
465fdc16-347f-44ff-b144-498309b57007 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড রাইট ঘোষণা করেছে। ১টি শেয়ারের বিপরীতে ২টি শেয়ার রাইট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। আজ রোববার কোম্পানির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকায় রাইট ছাড়তে চায় কোম্পানিটি। ব্যাটারি প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য পরিশোধিত মূলধন বাড়াচ্ছে কোম্পানিটি। এর জন্য কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জুলাই। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুন।
ইজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করবে কোম্পানিটি। অনুমোদন পাওয়ার পর শেয়ারহোল্ডারদের থেকে টাকা সংগ্রহ করবে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। |
0704263c-531b-425b-b519-0c8b2ca7d160 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে রবিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৮ টাকা। রবিবার দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৮ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ২৮.৫ টাকা থেকে ৩০.৮ টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— লাফার্জ সুরমার ৯.৮৯ শতাংশ, ডেফোডিল কম্পিউটারের ৯.৪৮ শতাংশ, ইউনাইটেড এয়ারের ৮.৯৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৮.৮১ শতাংশ, বেঙ্গল ইউন্ডজোর প্লাস্টিকের ৮.৬১ শতাংশ,
জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৮.৩৭ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ৮.৩৬ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ৭.২৭ শতাংশ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৬.৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
a301ad38-3e9c-4300-ba27-6538d04728d3 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বিডি অটোকারসের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৫.৪৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে রবিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিডি অটোকারসের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৩২.৯ টাকা। রবিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.১ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৩০.৭ টাকা থেকে ৩৩.৬ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৮৫ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩.৩৪ শতাংশ, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ৩.২৩ শতাংশ, ফেমিলি টেক্সটাইলের ৩.০৯ শতাংশ,
প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২.৯৯ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২.৭৫ শতাংশ, ইষ্টার্ন ক্যাবলসের ২.৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২.৫৮ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ২.৫৩ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
e8708494-d82e-42e3-a26a-c5350e183c13 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গরিলার ডেরায় পড়ে যাওয়ার পর চার বছরের এক শিশুকে উদ্ধারে গরিলাটিকে গুলি করে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তরা। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাতি চিড়িয়াখানায় এ ঘটনা ঘটে। বাধা ডিঙিয়ে যাওয়ার সময় ধুপ করে গরিলার ডেরায় পড়ে যায় শিশুটি। গরিলাটি শিশুটিকে ধরে ফেলে এবং তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ১৮০ কেজি ওজনের গরিলাটিকে গুলি করতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ সেটি ‘জীবনের জন্য হুমকি’ হয়ে উঠেছিল। গরিলার ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়ার পর শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে চিলির একটি চিড়িয়াখানায় এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে দুটি সিংহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আত্মহত্যার উদ্দেশে একটি ব্যক্তি সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়লে সিংহ দুটিকে গুলি করা হয়। শনিবার গরিলাটিকে হত্যার পর সাময়িকভাবে সিনসিনাতি চিড়িয়াখানায় গরিলা প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে।
১০ ফুট উঁচু থেকে গরিলার ডেরায় পড়ে যায় চার বছরের ওই শিশু। ভিডিওতে দেখা গেছে, গরিলাটি শিশুটিকে টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর কিছু মুহূর্ত দাঁড়িয়ে শিশুটির দিকে তাকাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে দুই হাত দিয়ে উঁচু করে ধরে গরিলটি।
পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নভূমির এ গরিলাটির বয়স ১৭ বছর। চিড়িয়াখানার ডেরায় শিশুটিকে নিয়ে হারাম্বে নামের এই গরিলাটি প্রায় ১০ মিনিট টানাহেঁচড়া করে। |
a1d01cea-b63d-445c-9016-546ca3745fc7 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের টানা লোকসানে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সবুজবাগের মাদারটেক শান্তিবাগের নিজ বাসার (৯১/৮) সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ভিশন ক্যাপিট্যালের বিনিয়োগকারী মহিউদ্দিন শাহারিয়ার। এ উপলক্ষে বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে সোমবার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গায়েবানা জানাজা শেষে বিনিয়োগকারী মহিউদ্দিন শাহারিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হবে জানান বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিশোধের সভাপতি মিজান-উর রশীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী মহিউদ্দিন শাহারিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সোমবার সকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে প্রথমে কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। কোরআন খতম শেষে বাদ যোহর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগকারীর মৃত্যুতে পুঁজিবাজারের কর্তাব্যক্তিদের কারো কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা বিনিয়োগকারীরা নিজেদের ভাইদের জন্য সামান্য কিছু হলেও করে যেতে চাই।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সমস্ত বিনিয়োগকারীকে অনুরোধ করে বলবো দয়া করে সবাই এ জানাজায় হাজির হয়ে মহিউদ্দিনের জন্য দোয়া করবেন। আর যদি একান্তই না আসতে পারেন তাহলে নামাজ পড়ে ওর জন্য দোয়া করবেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মহিউদ্দিন শাহরিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ভিশন ক্যাপিটল লিমিটেডের মধুমতি শাখার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। তার ক্লায়েন্ট কোড- ৫৪০৩ এবং বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৪২৮০০৩১০৯১০৩১।
ওই বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা পুঁজিবাজারের তিনটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে লোকসানের মুখে পড়েন। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমে প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। এ সময়ে তার আন-রিয়েলাইজড লোকসানের পরিমাণ ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১২২ টাকায় দাঁড়ায়।
বেক্সিমকো লিমিটেড, নাভানা সিএনজি এবং এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই তিনটি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো শেয়ারে বিনিয়োগ করে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৮ টাকা, এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ করে ৬২ হাজার ৫৭ টাকা এবং নাভানা সিএনজির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ৪৩ হাজার ৯০২ টাকা লোকসান করেন তিনি। |
078c6f9c-f041-40e3-9a95-0e37e2c9897d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য এ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
আলোচিত বছরে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় করেছে ০.৯৯ টাকা।আর ব্যাংকের প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৪৭ পয়সা।
ঘোষিত ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ জুন। |
e3834d5e-f9f3-417d-91fc-54df5ce41c1d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)সাথে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৈঠকে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে কি ভাবে উন্নয়ন করা যায় ও বাজার উন্নয়নে ১০ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
আজ বিএসইসির সাথে আলোচনায় ডিএসই’র পক্ষ থেকে আসন্ন ২০১৬-২০১৭ জাতীয় বাজেটে ডিএসই’র প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহনের কথা বলা হয়।
ডিএসই’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি এ বিষয়গুলোতে পদক্ষপ গ্রহণ করা হলে বাজারেরে প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। বৈঠকে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সিডিবিএল এর বিভিন্ন ফি-যেমন সেটেলমেন্ট, লেনদেন, স্থানান্তর ও প্রেরণ, ডিমেট ও রিমেট, কর্পোরেট এ্যাকশন ইস্যুতে কথা বলে ডিএসই। এছাড়া বাজারের বর্তমান অবস্থায় সিডিবিএলের চার্জ কমানো জরুরি।
এদিকে, পুঁজিবাজারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ড কিভাবে লেনদেন করা যায় সে বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করা। ডিএসই’ সূত্র বলছে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ২২১টি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে ট্রেজারি বন্ডগুলো নন-ট্রেডাবল অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র বলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্রিয়তা অব্যাহত থাকলে বাজাটে ডিএসই’র প্রস্তাবিত ইস্যুগুলো যথাযথভাবে গ্রহীত হবে। এতে করে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন কথা বলে ডিএসই। সূত্র জানায়, মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন করা হলে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আরো আস্থা ফিরে পাবে। যা পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও ডিএসই’র স্টেটেজিক পার্টনার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ডিএসই’র পক্ষ থেকে চলতি বছরেই স্টেটেজিক পার্টনার খুজে বের করা হবে বলে জানানো হয়। স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলো নিয়ে পৃথক মার্কেট, ইএফটি ফান্ড দ্রুত গঠন, বিনিয়োগকারীগনের সচেতনা বৃদ্ধিতে দ্রুত ফিন্যান্সশিয়াল লিটেরাজি প্রগ্রোম,
নতুন ব্রোকারেজ হাউজের মোবাইল বুথ/সার্ভিস সেন্টার চালু, কোম্পানি সম্পর্কে সহজে তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রত্যেকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের কাস্টমার সার্ভিস সাপোর্ট ডেস্ক চালু এবং ফ্রি মার্জিন লিমিট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পুঁজিবাজারের স্বার্থে ডিএসই দেওয়া এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করে বিএসইসি। এছাড়াও শিগগিরই ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন এবং এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিএসইসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনের প্রতিষ্ঠান সমূহে অর্থায়ন ও তালিকাভুক্তির জন্য একটি পৃথক বোর্ড অর্থাৎ স্মল ক্যাপ বোর্ড গঠন এবং পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ডিএসই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসসি’র পক্ষ থেকে ডিএসই’র আলোচিত ইস্যুগুলো নিয়ে দ্রুত প্রদক্ষপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিএসইসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইটিএফ চালুর ব্যাপারে পত্রিকার মাধ্যমে জনমত আহ্বান করা হয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন করা হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপি ফিনান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
ডিএসই’র প্রতিনিধিদলে চেয়ারম্যানসহ নয়জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএসইসি’র তিন কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, আমজাদ হোসেন ও ড.স্বপন কুমার বালা কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন। |
b2ccfc46-628d-49fc-8ba2-dcc187535789 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এটিই ছিল আজ ডিএসইতে কোনো কোম্পানির সর্বোচ্চ দরপতন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি আজ সর্বশেষ লেনদেন হয় ৫৮ টাকা দরে। এদিন কোম্পানির ৩ হাজার ৪০৫ বারে ৩১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা তুং হাই নিটিংয়ের ৬০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ দর কমেছে। শেয়ারটি আজ সর্বশেষ লেনদেন হয় ১০ টাকা ৪০ পয়সা দরে। এদিন কোম্পানির ৪৭৬ বারে ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২২৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সমতা লেদারের দর কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া লুজার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জনতা ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, ফ্যামিলি টেক্স, সেন্ট্রাল ফার্মা ও ন্যাশনাল পলিমার। |
a2f118b3-396c-445b-b3c5-08ad3aed7c7b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চিফ রেগুলেটরি অফিসারের (সিআরও) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আহমেদ দাউদ।গত ২৫ মে পদত্যাগপত্র জমা দেয় আহমেদ দাউদ। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৬ মে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এর আগে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালি-উল মারূফ মতিনও পদত্যাগ করেন।
সূত্র মতে, প্রায় আট বছর ধরে আহমেদ দাউদ সিএসইর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি কেপিএমজিতে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালের ২ জুন সিএসইর বিন্যস্তকরণ-পরবর্তী তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিআরও হিসেবে আহমেদ দাউদকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালি-উল মারূফ মতিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিএসইসি। তার পদত্যাগ ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদকে সতর্ক করার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও এখতিয়ারের বাইরে কাজ করার দায়ে আত্মপক্ষ সমর্থনপূর্বক সিআরওকে বরখাস্তেরও নির্দেশ দেয় কমিশন। আর বিএসইসির মৌখিক নির্দেশেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। |
166f95ed-111a-4842-b1da-894c33c6cc1d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের শেয়ারের দিকে ঝোঁক এখন বিনিয়োগকারীদের। দীর্ঘ সময় পর বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক আচরন করায় ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ার হিসেবে পরিচিত জ্বালানী খাতের শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া জ্বালানী খাতের কয়েকটি শেয়ারের দর অনেক নিচে দামের পড়ে থাকায় এসব শেয়ারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
দীর্ঘদিন নেতিবাচক গন্ডির মধ্যে আটকে থাকা বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্জিত অভিজ্ঞতার ফল এটি। কারণ, ভয়াবহ ধসের আগে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার কিনেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ধসের পর দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বাজার। বিশেষ করে সরকার পুঁজিবাজারের প্রতি মনোযোগী হওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে।
ধীরে ধীরে সব শ্রেনীর বিনিয়োগকারী বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। তবে পূর্বের মতো এবার দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার এড়িয়ে চলছেন বিনিয়োগকারীরা। এর পরিবর্তে মৌল ভিত্তি শেয়ারগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিনিয়োগকারীরা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে বড় মূলধনি কোম্পানি, বিশেষ করে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও বহুজাতিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সিমেন্ট খাতের কোম্পানিতেও তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
পুঁজিবাজারে গত কয়েক মাস ধরেই জ্বালানী খাতের শেয়ারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে। গত দুই অর্থবছর ধরেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ( ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে ছিল জ্বালানী খাত।
তবে এ কেন জ্বালানী খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এত আগ্রহ। এ নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের একটি টিম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করছে। এর মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের প্রায় ২০ শতাংশই রয়েছে জ্বালানী খাতের দখলে। অপরদিকে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এ খাতের শেয়ারগুলো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
এক সময় জায়গাটি ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে পরিচিত এই ব্যাংক খাত এখন বেশ তলানিতে। ধারাবাহিকভাবে কমছে এ খাতের অবদান। তাছাড়া সরকারের নীতি নির্ধারকসহ সব মহলে আন্তরিকতার ফলে গত সপ্তাহে বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাস ছিল।
ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে নানামুখি তৎপরতা আর সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমান বাজারের পরিস্থিত উন্নয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা জ্বালানী খাতের শেয়ার বিনিয়োগ করছেন বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডিএসইর লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশই হয়েছে জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলো ঘিরে। এর আগের অর্থবছরেও (২০১৩-১৪) ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে ছিল এ খাত। সে সময় জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কিন্তু কেন জ্বালানী খাত ঘিরে বিনিয়োগকারিদের এত আগ্রহ? প্রথমত, সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য জ্বালানি খাতকে খুবই প্রাধান্য দিচ্ছে। সরকারের নানা প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এ খাত ঘিরে।
বর্তমানে দেশে সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট খাত হলো জ্বালানি উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, এ খাতের কোম্পানিগুলো গত কয়েক বছর ধরেই ভালো ব্যবসা করছে। যার ফলে তারা বিনিয়োগকারিদের ভালো মুনাফাও দিচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজারেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি।
দ্বিতীয়ত, জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বশেষ হিসাব বছরে শুধু একটি কোম্পানি বাদে সব কোম্পানিই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে লিন্ডে বিডি ৩১০ শতাংশ, পদ্মা অয়েল ১০০ শতাংশ, যমুনা অয়েল ১০০ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস ৪০ শতাংশ, শাহজীবাজার পাওয়ার ৩১ শতাংশ, বারাকা পাওয়ার ১৬ শতাংশ, ডেসকো ১৫ শতাংশ,
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ৩০ শতাংশ, এমজেএলবিডি ৩০ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ার ১৫ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১০৫ শতাংশ, পাওয়ার গ্রীড ১৫ শতাংশ, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার ২৫ শতাংশ, সামিট পাওয়ার ১৮ শতাংশ, তিতাস গ্যাস ১৫ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ৩০ শতাংশ এবং বিডিওয়েল্ডিং ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাত হিসেবে একটি খাতের প্রায় সব কোম্পানি ভালো পরিমাণে মুনাফা করা এবং তা বিতরণ করা খুবই ভালো দিক। এজন্যই এ খাতের দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশী। শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য কোম্পানিগুলোর ভালো মুনাফা করা জরুরী। কারণ কোম্পানিগুলো ভালো মুনাফা করতে পারলে কোম্পানিগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। এতে বাজারও ইতিবাচক হবে।
এদিকে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ অর্থে ৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে সরকার। আর এ খবরে আজ এক সাথে ঝলসে উঠে এ খাতের বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় (সাড়ে ১২টায়) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রায় ৯৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৯টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১টির শেয়ার দর। এদিন এ খাতের তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩.৫০ টাকা বা ৭.৬৪ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৪টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৯৮৭ বাজার হাতবদল হয়। আর শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৯.৩০ টাকা দরে।
এছাড়াও এ খাতে থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে, ডেসকোর দর বেড়েছে ২.৪০ টাকা, লিনডে বিডির ৩৩.১০ টাকা, ইউনাইটেড পাওয়ারের ২.৭০ টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ২১.১০ টাকা, বারাকা পাওয়ারের ০.২০ টাকা, বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ০.৪০ টাকা, সিভিও পেট্রোর ০.৩০ টাকা, ডোরিন পাওয়ারের ০.১০ টাকা,
জিবিবি পাওয়ারের ০.৪০ টাকা, যমুনা ওয়েলের ২.৬০ টাকা, কেপিসিএলের ১.০০ টাকা, এমজেএল বিডির ০.৭০ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩.৮০ টাকা, পদ্মা অয়েলের ১.৯০ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ১.৮০ টাকা, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ারের ০.৮০ টাকা এবং সামিট পাওয়ারের শেয়ার দর বেড়েছে ০.৫০ টাকা। আর একমাত্র শাহজিবাজার পাওয়ারের দর কমেছে ১.৮০ টাকা।
জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জাতীয় বাজেটে ১৪ হাজার ৯৫১ কোটি ৯ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৩ হাজার ৪০ কোটি ৯ লাখ টাকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এছাড়া ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এদিকে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অনুন্নয়ন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। ১৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকার মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। আর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ছিল ২ হাজার ৩৭ কোটি টাকা।
Share Barta 24 | Latest Share News |
315f6217-9615-4d0a-bbf5-901bb2c175d5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের ৫ কোম্পানির আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৮টি কোম্পানির আলোচ্য সময়ের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য বের হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়কে প্রথম প্রান্তিক ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ও আরামিট।
আর আমান ফিড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), খান ব্রাদার্স পি পি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভার রিফ্র্যাকটরিজ ও উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি এই সময়কে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আয় বেড়েছে যে কোম্পানির, তৃতীয় প্রান্তিকে আমান ফিডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৭ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ৪৫ পয়সায় উঠেছে; নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ইপিএস ৬০ শতাংশ বেড়ে ৩ টাকা ৬১ পয়সা হয়েছে। মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের একই প্রান্তিকে ইপিএস আগের তুলনায় ১৯২ শতাংশ বেড়ে ৩৮ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ১৮৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৭ পয়সা।
আর প্রথম প্রান্তিকে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়ে ২৬ টাকা ৪১ পয়সা হয়েছে। আয় কমেছে বা লোকসানে রয়েছে যেসব কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে আরামিটের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কমে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা হয়েছে।
বিএসসিএর ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ কমে ২ টাকা ৫৫ পয়সা হয়েছে। কোম্পানিটির ইপিএস নয় মাসে ৩০৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে খান ব্রাদার্সের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমে ২৮ পয়সায় নেমেছে। তবে নয় মাসের ইপিএস আগের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেড়ে ৯৯ পয়সায় উঠেছে।
সাভার রিফ্র্যাকটরিজের শেয়ার প্রতি লোকসান তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেড়ে ঋণাত্মক ৩০ পয়সা হয়েছে। নয় মাসে লোকসান ৯১ শতাংশ বেড়ে ঋণাত্মক ৯২ পয়সা হয়েছে।
উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরির লোকসান তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ২৯৫ শতাংশ বেড়ে ঋণাত্মক ২ টাকা ১৭ পয়সা হয়েছে; নয় মাসের লোকসান ৩৮৩ শতাংশ বেড়ে ঋণাত্মক ৪ টাকা ৫৯ পয়সা হয়েছে। |
8f6510b7-f296-4bb5-9ff2-936ea3646eba | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড বন্ধ করতে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে তা বহাল রয়েছে। বিএসইসির এই সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় মঙ্গলবার বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বিএসইসি-এর করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের টাকা উত্তোলনে আর কোনো আইনগত বাধা নেই।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর এবং যেসব ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছর পেরিয়ে গেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই আদেশের পরও বিএসইসি একাধিকবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ায়।
এরপর ২০১৪ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি ৫০ (খ) অনুযায়ী, এইমস ও গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের সভায় ফান্ড দুটির মেয়াদ সর্বোচ্চ অনুরূপ একটি মেয়াদের (১০ বছর) জন্য বর্ধিত করার পক্ষে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু ইউনিট হোল্ডারদের সিদ্ধান্ত নাকচ করে বিএসইসি আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত এক সভায় ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ড দুটির রূপান্তর/ অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই নির্বাহী আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এইমস ওয়ান ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের অন্যতম ইউনিট হোল্ডার আলী জামান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিএসইসি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা এইমস ওয়ান ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
হাইকোর্টে আদেশ স্থগিত চেয়ে বিএসইসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন। আদালতে বিএসইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিজিআইসির পক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ, ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী আলী জামানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এইমস ওয়ান ও গ্রামীণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও মো. জহিরুল ইসলাম।
Share Barta 24 | Latest Share News |
9f8ecc2d-4674-40bf-9882-92e544232565 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। নতুন সূচি অনুসারে ডিএসইর লেনদেন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলবে। ফলে চার ঘণ্টার পরিবর্তে সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেনদেন হবে।
এসময় ডিএসইর অফিসিয়াল কার্যক্রম সাড়ে ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলবে। মঙ্গলবার ডিএসইর সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএসইর ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আগের মতোই ডিএসইর লেনদেন ও অফিসিয়াল কার্যক্রম চলবে। লেনদেন যথারীতি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে। |
8e63940d-4bf8-4446-a38d-5f253b918229 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। এদিন কোম্পানিটির ইউনিটের দর কমেছে ৬.৫৬ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির ইউনিটের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার ফান্ডটির ইউনিটের সমাপনী মূল্য ছিল ৬.১ টাকা। মঙ্গলবার দিন শেষে ফান্ডটির ইউনিটের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭ টাকায়। দিনের মধ্যে ফান্ডটির ইউনিটের দরসীমা ছিল ৫.৭ টাকা থেকে ৫.৮ টাকা।
দর কমার শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৬.৪৫ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৩.৮৫ শতাংশ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৩.৮১ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ৩.৭০ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের ৩.৪৯ শতাংশ,
বেঙ্গল উইন্ডজোর থার্মোপ্লাস্টিকের ৩.৪৭ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ৩.২৮ শতাংশ, ঝিল বাংলা সুগার মিলসের ৩.২৩ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৩.০৬ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
e3f44e19-5b93-48d3-b46f-28d955645c96 | সোহাগ রাসিফ, জবি প্রতিনিধি: রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন ওসমান সম্রাট (১০ম ব্যাচ) ছাত্রদল কর্মীকে পিটালো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর ১ টার দিকে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন ওসমান সম্রাট (১০ম ব্যাচ) ক্লাস শেষে ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় শ্রাবন হালদার,হাসিবুল হাসান হৃদয়,আশিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে মারধর করে । গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রদল কর্মী ইয়াসিন ওসমান স¤্রাটকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইয়াসিন ওসমান সম্রাট বলেন,যারা আমাকে মারছে তারা এক সময়ে আমার বন্ধু ছিল।এখন তারা ছাত্রলীগ করে। নিজেদেরকে সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রমান করার জন্য আমাকে মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে স¤্রাট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক ভাবে ক্লাসে অংশ নিতে গিয়েছে। এমতাস্বায় ছাত্রলীগের কর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে কেন্দ্র করে স¤্রাটকে গুরুতর আহত করে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ইয়াসিন ওসমান স¤্রাট কিছুদিন আগে জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ করেছে। আবার এখন ছাত্রদলের সাথে কাজ করছে। এক জন ছাত্র এক সাথে দুই রাজনীতি করতে পারেনা। মূলত একারণেই তাকে মারধর করা হয়েছে।
জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে সবার আগে স¤্রাট একজন শিক্ষার্থী । স¤্রাট কোন রাজনৈতিক দল করে সেটা দেখার বিষয় নয়। স¤্রাট সুস্থ হওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। |
2b71a05c-08f1-4bdf-815a-cf4bd4b57c80 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে ৪০০ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূলধন সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৫৭৫তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪০ লাখ ৮ হাজার ৮০০ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এ মূলধন সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে সুইফট কার্গো পিটিই, ফনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই এবং টিএসি এভিয়েশনের কাছে শেয়ার ইস্যু করবে।
ইস্যুকৃত শেয়ারগুলোর ক্ষেত্রে সুইফট কার্গো পিটিইর শেয়ার ৩ বছর লক ইন থাকবে। এ ছাড়া ফনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই ও টিএসি এভিয়েশনের ক্ষেত্রে ১ বছর লক ইন থাকবে। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা দিয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিমান ক্রয় ও এ-সংক্রান্ত দায় পরিশোধের কাজে ব্যবহার করবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড। কমিশন সভায় শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে প্রাইম ইসলামি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল কালাম ইয়াজদানীকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে কমিশন ফাইন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে। যা গেজেট আকারে শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। |
911aec6e-0eb8-46d9-976a-ab437e1a64d5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৪৪টি কোম্পানিটি রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি বা ২০.৪৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীরা দু:চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন বলেন, এসব কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে দায়সারা ভাব হয়ে গেছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে আদৌ বিনিয়োগকারীরা মুল পুঁজি পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ৯ কোম্পানি ফেস ভ্যালুর নিচে । ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করা কোম্পানিগুলো হল- সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ডেল্টা স্পিনার্স, দুলামিয়া কটন, ফেমিলিটেক্স, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মেটো স্পিনিং ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
অভিহিত মূল্যের নিচে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বুধবারের (১ জুন) লেনদেন শেষে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৯ টাকায় অবস্থান করছে।
এছাড়া ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এর ৯.৭ টাকায়, ডেল্টা স্পিনার্সের ৮.৩ টাকায়, দুলামিয়া কটনের ৬.৯ টাকায়, ফেমিলিটেক্সের ৯.১ টাকায়, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের ৭.৮ টাকায়, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলসের ৭.২ টাকায়, মেটো স্পিনিং এর ৮.১ টাকায় ও সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৭.৯ টাকায় অবস্থান করছে।
বস্ত্রখাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরে অবস্থান করছে স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের শেয়ার। এ কোম্পানির শেয়ার দর রয়েছে ১০৬৯.৫ টাকায়। আর সবচেয়ে কম ৬.৯ টাকায় রয়েছে দুলামিয়া কটনের শেয়ার।
এদিকে ১৩ টাকার নিচে ১১.৯ টাকায় ড্রাগণ সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং এর শেয়ার দর অবস্থান করছে। এছাড়া ১২.৭ টাকায় সাফকো স্পিনিং ও ১০.৬ টাকায় তুং হাই নিটিং এর শেয়ার দর রয়েছে। |
333970d7-6eb6-4492-a010-db5916fa5d8f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল কালাম ইয়াজদানী। আর এ জন্য তাকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (১ জুন) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির নিবার্হী পরিচালক ও মূখপাত্র এম. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনের তদন্ত দল কর্তৃক শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেনে উদঘটিত অনিয়মের বিষয়ে দেখা যায়, আবুল কালাম ইয়াজদানী তার নিজস্ব বিও হিসার সম্পর্কিত মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান।
পাশাপাশি তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন পক্ষকে শাহজিবাজারের শেয়ার ক্রয়ে সম্পৃক্ত করেন। ফলে বাজারে উক্ত শেয়ারের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে।
আর এ কাজের মাধ্যমে আবুল কালাম ইয়াজদানী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যাস, ১৯৬৯ এর ১৮ ধারা ও ১৭ এর (ই)(ভি) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ ও দ্বিতীয় তফসিল এ বর্ণিত আরচর বিধি ৬ ও ৭ লংঘন করেছে। তাই এ আইন ভঙ্গের দায়ে আবুল কালাম ইয়াজদানীকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সর্বপ্রথম শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটিকে ১৭ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ১১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন বিএসইসির তদন্তে সহায়তা ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্থগিত করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। |
56f98677-3919-43db-afe9-4c9ec2063965 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ২০১০ সালে ধসের পর থেকে সরকার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নানা প্রণোদনা দিয়েছে। প্রতিবছর বাজেটে তাদের স্বার্থে কিছু প্রস্তাবনাও রাখা হয়। কিন্তু সেই অর্থে এখনো বাজারে স্থিতিশীলতা আসেনি। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী চার পাঁচ বছরেও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
আগামীকাল বৃহস্পতিার সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার কী ধরনের পদেক্ষপ রাখছে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।
২০১০ সালে ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর বেশ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। নানা ইস্যুতে অস্থিরতা লেগেই আছে। ধারাবাহিক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় টান পড়ছে। তবুও বিনিয়োগকারীদের আশা, আসন্ন জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব, দিক নির্দেশনা দেবে সরকার। তাতেই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালের আগে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের লোকসানের পরিমাণ এখনো ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। এর সঙ্গে যোগ হওয়া মার্জিন ঋণের বোঝা তাদের ক্ষতি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস (২০১৫ সালের ৭ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আর আজ বুধবার (১ জুন) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকায়। অর্থাৎ মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এসময় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতন হয়েছে ১৯৬ পয়েন্ট। একই সময়ে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৩৪ কোটি টাকা। আজ লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।
এই পরিস্থিতিতে ডিএসইর পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পুঁজিবাজারে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথককরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) বাস্তবায়নের পরবর্তী পাঁচ বছর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া।
বর্তমানে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে (২০১৬-১৭) অর্থবছরের বাজেটে এক লাখ টাকা করার দাবি করেছে ডিএসই। এতে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে যা বাজার স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে স্টেকহোল্ডারদের শেয়ার লেনদেনের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয়। তা কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাসী এবং অনির্বাসী বাংলাদেশিদের কর কর্তন ৮২ সি ধারার অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি দেয়া, ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর সেকশন ২ এর সাবসেকশন (৩৫) এর অধীনে আয়বর্ষের সংজ্ঞা পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাব করেছে ডিএসই।
ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে এনবিআরের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করি বাজেটে ডিএসইর দেয়া প্রস্তাবনাগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
ডিএসইর নতুন নির্বাচিত পরিচালক ও সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান মনে করছেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট রয়েছে। আস্থা ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতো নীতি সহায়তার পাশাপাশি বাজেটে সর্বোচ্চ মহলের পুঁজিবাজার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দরকার।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ধসের পর সরকার আমাদের প্রণোদনা দিয়েছে। তবে যদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দেয়া হতো তাহলে বাজার স্থিতিশীলতায় তা ভূমিকা রাখতে পারতো। ২০১০ সালের ধস এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক বিনিয়োগকারী। আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আগামী বাজেটে বিনিয়োগকারীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবনা আনা হবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবারের বাজেট হবে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার, যা গত বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।
Latest Share News | Share Barta 24 |
1d9eba48-105d-45c9-9e7f-859528cfc3d7 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ১৩.৮৩ শতাংশ। মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে বুধবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৯.৪ টাকা। বুধবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৮ টাকা থেকে ৮.৫ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮.৮৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৮.৩৮ শতাংশ, ফারইষ্ট ফাইন্যান্সের ৮.২৫ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ৭.৯১ শতাংশ, জিপিএইচ ইস্পাতের ৬.৬০ শতাংশ,
সুরিদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ৩.৫৭ শতাংশ, আরামিটের ২.৮২ শতাংশ, আইপিডিসি’র ২.৭৭ শতাংশ, ন্যাশনাল পলিমারের ২.৭৪ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
4502b8cb-7a17-4904-8330-3a82e80ecb68 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কোন কারণ নেই বলে তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মঙ্গলবার (১ জুন) ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই। ওই তদন্তের আলোকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার মতো অপ্রকাশিত কোন মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, ১৬ মে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫৭.৬ টাকা। আর ৩১ মে লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর ২৩.৬ টাকা বা ৪১ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ৮১.২ টাকায়। ছয় কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের এই দর বেড়েছে। |
c7f31882-ba0d-47dc-9e5a-5e60cc5c07ad | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে ডেরিভেটিভস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে । বুধবার কমিশনের ৫৭৫তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই নীতিমালা প্রণয়নে বিএসইসির পক্ষ থেকে ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস নীতিমালা প্রকাশের জন্য আগেই তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী ২২ জুনের মধ্যে এই গাইডলাইন প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে এই নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের কথা রয়েছে। |
1ef2a1f4-e069-4e9e-bd3e-eea15c0027c2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজর ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনারেরশীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাতের তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আজ বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৮৪ শতাংশ বেড়ে গেইনারের শীর্ষে অবস্থান করে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর আজ ১৯.৪০ টাকা থেকে ২১.২০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে সর্বশেষ ২১.২০ টাকায় লেনদেন হয়। সারাদিনে মোট ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ১৯০টি শেয়ার ১ হাজার ৭৪৫ বার হাতবদল হয়।
টপটেন গেইনারের শীর্ষে থাকা অন্যান্যের মধ্যে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৯.৮২ শতাংশ, ইনটেকের ৮.৭৭ শতাংশ, ইউনাইটেড এয়ারের ৮.৩৩ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৭.৪১ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের ৬.৮২ শতাংশ, সিএমসি কামালের ৬.৮০ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিক্সের ৬.৩৬ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.১০ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৬.০২ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। |
3c1008c0-773d-4c85-83ea-d5d72f350314 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও উৎপাদক এ দুটি ক্যাটাগরি করা হবে। উৎপাদক কোম্পানিকে কিছুটা ছাড় দিয়ে ব্যবসায় কোম্পানির চেয়ে আড়াই শতাংশ কম কর্পোরেট করারোপ হতে পারে।
এছাড়া শেয়ারবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মুনাফায় কর নেই, এ সীমা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। তবে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ গত অর্থবছরের মতো থাকছে না।
মূলত কালো টাকা বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও এর আগে খুব কম সংখ্যক বিনিয়োগকারীই এই সুবিধা নিয়েছে, যার কারণে সরকার এই বাজেটে কালো টাকা বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে না।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের পক্ষ থেকেও কালো টাকা বিনিয়োগের দাবি এই বছরে জানানো হয়নি। কারণ আগ্রহ কম থাকার কারণেই ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদই এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এই প্রস্তাব রাখেনি।
এছাড়া আজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশে ব্যবসারত বিদেশী বাণিজ্যিক কর হার বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। এর আগে আইসিএমবির পক্ষ থেকে বাজারে বিদেশী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমাকে বাজারে তালিকাভুক্তিকে বাধ্য করার জন্য কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপিত কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
সরকার পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করতেই কর হার বাড়াচ্ছে। এছাড়া দুই স্টক একচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর অবকাশ অব্যাহত থাকছে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে পুঁজিবাজারের জন্য ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছিল ডিএসই।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে : ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছরের জন্য সম্পূর্ণ কর অবকাশ সুবিধা প্রদান, সিকিউরিটিজ লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস, করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ানো এবং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি অব্যাহতিসহ আরও দুটি।
এইদিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, নৈতিক কারণে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের বিপক্ষে ডিএসই। তাই ডিএসইর প্রস্তাবনায় কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থেকে থাকলে তা শেয়ারবাজারের জন্যও আছে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে বাধা নেই। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে অফিসিয়ালি এর অনুমোদন নেই।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছর মেয়াদী ক্রম হ্রাসমান হারে যে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে, তাতে দ্বিতীয় বৎসর ৮০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা ছিল। তার সঙ্গে আরও ২০ শতাংশসহ শতভাগ কর রেয়াত সুবিধা দেয়া ইতিবাচক। |
00504f0c-7c42-4b21-96bb-586dfcdded87 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠান চলছে। আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে বুয়েটের প্রতিনিধি দল লটারি ড্র অনুষ্ঠান শুরু করে। লটারির ড্র অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু কাউসার মজুমদার। ডিএসইর পক্ষ থেকে রাকিব হোসেন, সিএসইর আলী রাগীব ও সিডিবিএলের আক্তার হোসেন। এছাড়া ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের খন্দকার কায়েস হাসান ও সেটকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ওয়ালীওল্লাহ উপস্থিত রয়েছেন।
জানা গেছে, কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৩ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ৬২ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। তালিকাভুক্তির পর এটি হবে পুঁজিবাজারে ইভিন্স গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। এর আগে ২০১৩ সালে এই গ্রুপের আর্গন ডেনিমস লিমিটেড দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। |
8dc4b416-3e65-423d-ad97-ef98a5368f13 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মুল্য সূচকের উর্ধ্বগতিতে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট ও সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট।
আজ উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত বুধবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৪৯ কোটি ০৯ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৯৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৬ পয়েন্টে এবং ১৫ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই–৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৭টির, কমেছে ৯৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার দর। এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো– শাহজিবাজার পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, তিতাস গ্যাস, বেক্স ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডোরিন পাওয়ার এবং স্কয়ার ফার্মা।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ০৮ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বেশি।
আজ সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৪৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৭৩ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৯১ পয়েন্টে, সিএসই–৫০ সূচক ৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১ পয়েন্টে এবং সিএসই–৩০ সূচক ৫৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৫৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ৭৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো– ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ইউনাইটেড এয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, বেক্সিমকো লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, ডোরিন পাওয়ার এবং তিতাস গ্যাস।ডিএসইতে প্রধান সূচক ২৪, সিএসইতে বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট। |
6085fed8-f617-4017-ae1c-5f9836b54b43 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাত নাজুক অবস্থায় আছে বলে মনে করছে বেসকারি গবেষণা সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটে রাখা বিশেষ তহবিলের ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে না। নাজুক অবস্থায় আছে এ খাতটি। ফলে এখানে বিনিয়োগ নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। এ খাত থেকে মুনাফা পেতে হলে ব্যাপক আইনি সংস্কার করতে হবে। যদি এটি করা যায়; তাহলে এ খাত থেকে মুনাফা পাওয়া সম্ভব।
বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আপানার যদি একটা লক্ষ্য থাকে, তাহলে একটা তীর চালাতে হবে। সেই তীরের জন্য একটা ধনুক লাগবে। এই ধনুকটা হলো আয়, তীরটা হলো ব্যয়। আমরা সেই তীর এবং ধনুকের লক্ষ্য ভেদ করার সম্ভবনা দেখছি না। অর্থাৎ বর্তমান বাজেট কাঠামোর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।’
আমি একটা অস্বস্তিমূলক স্বস্তির মধ্যে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাজেটে বিনিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটা বাস্তবায়নে ব্যক্তিখাতে বাড়তি ৮০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এই টাকা কোথা থেকে আসবে, ব্যাংক থেকে না পুঁজিবাজার থেকে এই বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই।’
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় তুলনামূলক অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে উন্নয়ন ব্যয় বাড়নো দরকার। কিন্তু আমাদের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় তুলনামূলক অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এটি লক্ষ্য করা গেছে।’
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি, বিভিন্ন খাতে ভূর্তকি প্রদান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অর্থ বরাদ্দসহ বিভিন্ন কারণে অনুন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় বেশি বরাদ্দ রাখা দরকার বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করের হার কম এবং কর রেয়াতের ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। চলতি বাজেটে করের হার স্থিতিশীল রাখা হয়েছে; যা বিশ্বের আর কোনও দেশে দেখা যায় না। বাজেটে কম আয়ের থেকে বেশি আয়ের ব্যক্তির কর ও কর রেয়াতের বৈষম্য লক্ষ্যণীয়।
নতুন কর নীতিমালা তৈরিসহ কর সংগ্রহের পদ্ধতি আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ করের প্রতি জোর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সব ধরনের রফতানি খাতে সমান সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, আমদানি ও রফতানি শুল্কের পরিমাণ বাস্তবসম্মত নয়। বৈদেশিক সাহায্য ব্যবহার, এডিপির বাস্তাবায়ন ও কর আহরণের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গেছে। এর বাইরে জাতীয় বাজেটের আর্থিক কাঠামোর ক্ষয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এডিপি নিয়ে নতুন কোনও ধরনের অগ্রগতি লক্ষ্য করছি না। মেগা প্রকল্পগুলো আগের মতো অবস্থায় রয়েছে। এডিপির তহবিল গতবারের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। এটা ব্যবহার করতে হলে যে নীতির পরিবর্তন দরকার, যে অবকাঠামো দরকার তা নেই।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এডিপির অনেক প্রকল্প রয়েছে যার ৫০ শতাংশই সম্পন্ন হয়নি, যে প্রকল্পগুলো শেষ হবে বলা হচ্ছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ১৮টি প্রকল্পে মাত্র ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, ২০টিতে মাত্র ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্যগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি। ভর্তুকির ক্ষেত্রে একটা জাতীয় নীতিমালারও দাবি জানিয়েছেন সিপিডির এই বিশেষ ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঠিক আছে। তবে আয়-ব্যয় কাঠামোতে স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে। নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে এবারের বাজেট প্রণয়ন তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দময় হয়েছে।
সিপিডির বাজেট প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেন হোসেন, রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ। |
75d86f34-50bc-4867-9627-69b40de2f347 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে চলছে। বাজেট প্রস্তাবনার আগের সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সব সূচক। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লু-চিপ সূচক ডিএসই-৩০।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজার-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরো সপ্তাহেই বিনিয়োগকারীরা বাজেট ও শেয়ারবাজারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে সতর্ক ছিলেন। হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যে লেনদেন চললেও সপ্তাহ শেষে অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল।
সপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৪৬ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচকটি ৩ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৬১ পয়েন্ট ছাড়ায়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স সিএসসিএক্স ১ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়লেও মাত্র দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে সেখানকার নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সূচক সিএসই ৩০।
ডিএসইতে গেল সপ্তাহে ১৭০টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। অন্যদিকে সিএসইতে ১৩৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির বাজারদর।
সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পাশাপাশি লেনদেনও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ডিএসইতে কেনাবেচার দৈনিক গড় আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪৩৩ কোটি টাকা ছাড়ায়।
খাতভিত্তিক চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাজার মূলধন বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট, খাদ্য-আনুষঙ্গিক, বিদ্যুত্-জ্বালানি, প্রকৌশল ও টেলিযোগাযোগ। বিপরীতে দর হারিয়েছে আর্থিক খাতের বেশির ভাগ শেয়ার।
প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য উল্লেখ করার মতো কোনো সুখবর না থাকলেও তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট কর হ্রাস ও বস্ত্র কোম্পানিগুলোর জন্য কিছু মূসক ছাড় সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আকৃষ্ট করেছে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকায় তিনটি ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি। |
95ed54d2-6588-4e2c-aae8-ceaa1170fe11 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এইচআর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দরবৃদ্ধির তালিকায় ১ নম্বরে উঠে আসে বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রায় সাত মাস নিম্নমুখী থাকার পর এক মাস ধরে এইচআর টেক্সটাইল শেয়ারের দর বাড়ছে। ডিএসইতে বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা, ২ মে যা ছিল ১৬ টাকার ঘরে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১৬ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা।
৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এইচআর টেক্সটাইল। গেল হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৬ টাকা ১৭ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সে বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (অক্টোবর-মার্চ) এইচআর টেক্সটাইলের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৩ পয়সা। এইচআর টেক্সটাইল ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
‘প্রাইড’ ব্র্যান্ডের পোশাক তাদের মূল পণ্য। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫ দশমিক ২৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২০ দশমিক শূন্য ৮, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৯ দশমিক ৮৮। |
783f8ff5-5550-4da9-84a8-9b5b9d8a6a5e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লুজার তালিকার রয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ১৩.৬৮ শতাংশ কমে টপটেন লুজারের শীর্ষে নেমে গেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কোম্পানিটির গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৭ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফের প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৫৪ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আর সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ২ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংকের শেয়ার দর ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৭০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লুজার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আর এন স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ, ফারইস্ট ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ,
সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, ফ্যামিলিটেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডে ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং প্রাইম ইসলামী লাইফের দর কমেছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ । |
f562a404-cf2e-4466-8bbf-cca0fa40f9a2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেট কে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার শেষ নেই। কেমন যাবে পুঁজিবাজার এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা রয়েছে দোটানায়। কেউ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট কিছুটা হলেও বিনিয়োগ বান্ধব। আবার কেউ বলেছেন এ বাজেট বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন প্রনোদনা নেই। তবে তিন ইস্যুতে বাজার স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এদিকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর আগের অর্থবছরের (২০১৫-২০১৬) সংশোধিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য এক হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকার বাজেটে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর জন্য সরকারের এ বরাদ্দকে তীব্র সমালোচনা করেছে সিপিডি।
সিপিডির বাজেট মূল্যায়নে, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দের সমালোচনা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অথচ আর্থিক খাতের এ দুটি ক্ষেত্রই খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সেখানে বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া সৎ করদাতাদের অর্থ দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না। এ প্রসঙ্গে সিপিডি’র ফেলো দেবোপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার পুঁজিবাজারের জন্য ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। কিন্তু সরকার এতো টাকা পুঁজিবাজারের জন্য বরাদ্দ রেখেছে কেন?
তিনি সরকারের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, পুঁজিবাজারের প্রতি এতো টাকা বরাদ্দের উদ্দেশ্য কি বাজারকে ঝাঁকুনি (ভাইব্রেন্ট) দেয়ার জন্য অথবা ফের বাজার থেকে টাকা লুটে নেয়ার সুযোগ করে দেয়া?
মার্জিন ঋণ ও সুদ মওকুফ: তাছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মার্জিন ঋণ ও সুদ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মওকুফ জনিত সুবিধার আওতায় করযোগ্যতা থেকে সকল ক্ষুদ্র বিনিয়েঅগকারীকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করেন। এছাড়া এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ ও সুদ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন কালে এ তথ্য জানান।
বাজেট বক্তব্যের লিখিত অংশের ১৮৭ অনুচ্ছেদে তিনি বলেছেন, অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা সহায়তার জন্য মার্জিন ঋণ ও সুদ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মওকুফজনিত সুবিধার আওতায় করযোগ্যতা থেকে সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
টেক্সটাইল খাত: টেক্সটাইল খাতের জন্য এবারের বাজেটে দারুন সুখবর শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন কালে তিনি বলেছেন, টেক্সটাইল খাতের উপখাতকে কর প্রনোদনা দেয়ার লক্ষ্যে এ খাতে কোনো ভ্যাট আরোপ করা হবে না।
তিনি তার বক্তৃতায় বলেছেন, টেক্সটাইলের গ্রে কাপড়, প্রিন্টিং, ফিনিশিং ও ক্যালেন্ডারিং সেবা খাতকে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি। ধারনা করা হচ্ছে তার এই ঘোষণার ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত টেক্সটাইল খাতের অন্তত ৪৪টি কোম্পানির উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন যার ফলাফল ভোগ করবেন শেয়ার হোল্ডাররাও।
এছাড়া বস্ত্র খাতকে একটি বড় ও শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাত হিসেবে আরও এগিয়ে নিতে এবারের বাজেটে কর রেয়াতের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে কেমিক্যালের কর ২৫ হতে ১৫ শতাংশ এবং কাঁচামালের কর ১০ হতে ৫ শতাংশে ধার্যের প্রস্তাব করেছেন। বস্ত্র খাতে এর প্রভাব কিছুটা হলো প্রড়বে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যদিও কোন সুখবর নেই। তার মধ্যে যদিও সরকার প্রদত্ত সব সহযোগিতা সাহায্য কোম্পানিগুলোই ভোগ করে যার তেমন কিছুই পায় না বিনিয়োগকারীরা, তারপরও বাজেটের এই ঘোষণায় একটু হলেও পুঁজিবাজারের খাতটি চাঙ্গা হবে।
এছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার যে বাজেট পেশ করছেন, তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, দেশের শিল্পায়নের কথা বিবেচনা করে সরকার বরাবরই এই খাতটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবারের বাজেটে এই গুরুত্বের সীমা আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতের মুলধনী পন্যে ব্যাপক শুল্ক ও কর অব্যাহতি/রেয়াতের সুযোগ দিয়েছি। এই খাতের জন্য সেই সুযোগ এ অর্থ বছরেও বহাল থাকবে।
পাশাপাশি বায়োগ্যাস প্লান্টের উপকরন, স্টোভ,এয়ার টাইট স্টোরেজ ব্যাগ উইথ জিপার, বায়োগ্যাস ডাইজেস্টার, প্লাস্টিক ও গ্লাস ফাইবারের তৈরী গ্যাস সিলিন্ডারের আমদানী শুল্ক-কর হ্রাস করে রেয়াতি হারে শুল্ক ধার্যের প্রস্তাব করছি।
মন্ত্রীর এই প্রস্তাবনার ফলে আশা করা হচ্ছে অন্যান্য কোম্পানির পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত এ খাতের ১৯টি কোম্পানি বেশ লাভবান হবে। এ খাতে যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন তারা কিছুটা হলেও লাভবান হবেন।
এছাড়া কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামীতেও কালো টাকার সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা দিয়ে কালো সাদা করা যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সরকার যতদিন থাকবে; ততদিন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ উঠছে না। এ সুযোগ বলবৎ থাকবে। যেকোনো সময় কালো টাকা জরিমানা দিয়ে বৈধ করা যাবে। এটা ও পুঁজিবাজারের জন্য একটা ইতিবাচক দিক। প্রতিবার বাজেটের পর এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন কারণ নেই।
জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার স্থায়ী ব্যবস্থা দু’বছর আগেই করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। এটা পরিবর্তন করা হবে না। তবে শর্তহীনভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী এ্যাড. মাহামুদুল আলম ফেরদৌস বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য সত্যিকার অর্থেই তেমন কিছু নেই। তার মধ্যে মার্জিন ঋণ ও সুদ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মওকুফ জনিত সুবিধার আওতায় করযোগ্যতা থেকে সকল ক্ষুদ্র বিনিয়েঅগকারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটা ঘোষণায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে বলে তিনি মনে করেন।
স্টক বন্ডের বিনিয়োগকারী আরাফাত হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির মিল নেই। তবুও বাজার স্থিতিশীল থাকার আশা করছি। কারন আমরা দীর্ঘ ধরে একটি স্থিতিশীল বাজারের জন্য অপেক্ষা করছি। এছাড়া ছাড়া বড় বড় সংঘটনগুলো বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে সরাসরি বৈঠক করে। কিন্তু দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ এনবিআর চেয়্যারম্যানের হাতে বাজেট প্রস্তাবনা জমা দেয়। ফলে, ঘোষিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার তেমন কোন ফল দেখা যায়নি।
বিনিয়াগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশীদ চৌধুরী বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার ইস্যুতে তেমন কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন আসেনি। ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোন সম্ভবনা নেই। পক্ষান্তরে মার্জিন ঋণ ও সুদ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মওকুফজনিত সুবিধার আওতায় করযোগ্যতা থেকে সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ডিএসইর জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট কতটা পুঁজিবাজার বান্ধব তা বাজার শুরু হলে বুঝা যাবে। পুঁজিবাজারের এই অবস্থায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কোনো চাহিদার প্রতিফলন এই বাজেটে হয়নি। পুঁজিবাজারের জন্য এই বাজেটে কিছু নেই। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে আরও তিন বছর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চেয়ে আসছিল ডিএসই সিএসই।
আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, একটি ছোট বিষয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে তার কোনো প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে বলে মনে হয় না
পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ হলে তাকে মুনাফা হিসেবে ধরা হত, এখন এই সুবিধা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট বক্তৃতায় মুহিত পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এর আগে নেওয়া পদেক্ষপের ফিরিস্তি দিয়ে বলেছেন, “গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে আইন-কানুনের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। |
287b6ad9-d67f-4850-a900-87794f8b0a70 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের এই বিশাল বরাদ্দকে বাজার স্থিতিশীলতায় সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
তারা বলেন, বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ দিনের হারানো পুঁজি ফিরে পেতে সহায়তা করবে। তেমনি বাজার দ্রুত স্থিতিশীল হবে। সরকারের নেয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিনিয়োগকারী সহ পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। এর আগের অর্থবছরের (২০১৫-২০১৬) সংশোধিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য এক হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
এর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকার বাজেটে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর জন্য সরকারের এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পুঁজিবাজারকে আর্থিক খাতের একটি দুর্বল ক্ষেত্র উল্লেখ করে এর উন্নয়নে সরকারের এমন বরাদ্দকে নেতিবাচক চোখে দেখছে।
সিপিডির বাজেট মূল্যায়নে, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দের সমালোচনা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ আর্থিক খাতের এ দুটি ক্ষেত্রই খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সেখানে বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া সৎ করদাতাদের অর্থ দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না।
এ প্রসঙ্গে সিপিডি’র ফেলো দেবোপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার পুঁজিবাজারের জন্য ১৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। কিন্তু সরকার এতো টাকা পুঁজিবাজারের জন্য বরাদ্দ রেখেছে কেন? তিনি সরকারের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, পুঁজিবাজারের প্রতি এতো টাকা বরাদ্দের উদ্দেশ্য কি বাজারকে ঝাঁকুনি (ভাইব্রেন্ট) দেয়ার জন্য অথবা ফের বাজার থেকে টাকা লুটে নেয়ার সুযোগ করে দেয়া?
এদিকে, অর্থমন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের জন্য দেয়া বরাদ্দের টাকা তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে শেয়ার ও ইক্যুইটি বিনিয়োগ বাবদ ১৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। যা এর আগের অর্থবছরের সংশোধনি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ১১৭ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা। যা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ছিল ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো: শাকিল রিজভি বলেন, পুঁজিবাজারে জন্য এই বাজেট বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি সরকারের দেয়া বরাদ্দ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহায়ক হবে। |
14eae86e-318a-43df-8a54-31fd1598e24e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সুচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বাজেট পরবর্তী বাজার নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন লাখো বিনিয়োগকারীরা। তারা বর্তমান বাজার নিয়ে এক প্রকার অস্থিরতায় ভুগছেন। বিনিয়োগকারীরা বাজেটের আগে অনেক আশা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। তাদের সে আশায় এখন গুড়োবালি। ফলে নতুন করে দরপতনে মুল পুঁজি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা রক্ষক না ভক্ষক। তিনি কি আদৌ চান পুঁজিবাজার ভাল হোক। এ প্রশ্ন এখন লাখো বিনিয়োগকারীদের। এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হছে মাত্র ২৮২ কোটি টাকা। একদিকে তারল্য সংকট অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিস্ক্রিয়তা দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কোনো ধরনের প্রনোদনা না থাকায় বিনিয়োগকারীসহ স্টেকহোল্ডারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। যার নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েছে। এছাড়াও বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিস্ক্রিয় রয়েছে।
তবে এখনো স্টেকহোল্ডারসহ বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছে বাজেট পাশের আগে সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাবনাগুলো মেনে নেবে। তাহলে বাজারে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়বে বিনিয়োগকারীদের, চাঙ্গা হবে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার নিয়ে স্বপ্ন দেখবে লাখো বিনিয়োগকারী।
এ ছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো হলো : করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি দেয়া, ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর সেকশন ২ এর সাবসেকশন (৩৫) এর অধীনে আয়বর্ষের সংজ্ঞা পরিবর্তন করার প্রস্তাব পুনরায় বিবেচনা করা।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে পাঁচ বছর শতভাগ কর থেকে অব্যাহতি সুবিধা অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডার কর্তৃক সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর (ধারা ৫৩ বিবিবি) উৎসে কর শূন্য দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক শূণ্য ১৫ শতাংশ করা।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘পুঁজিবাজারেরর কাঠামোগত অনেক সংস্কার হয়েছে, যা বাজারে দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আসনে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিএসইর দেয়া প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করা দরকার।
সিএসই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে হবে। একারণে কয়েকটি প্রস্তাব বিবেচনার দাবি জানান তিনি। এর মধ্যে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী স্থিতিশীলতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সুস্পষ্ট প্রণোদনা দেয়া, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছরের কর সুবিধা প্রদান, উৎসে কর কমানো, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈতকর নীতি পরিহার করা। বাজারের ক্রান্তিকাল দুর করতে বিশেষ প্রণোদনার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চিুক এক সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কোনো ধরনের প্রনোদনা না থাকায় স্টেকহোল্ডারদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই বাজার উন্নয়নের স্বার্থ স্টেকহোল্ডারদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মতিয়র রহমান বলেন, প্রতিনিয়তই দেশের পুঁজিবাজার ধ্বংস স্তুপে পরিণত হচ্ছে। অথচ সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সামান্যতম মাথা ব্যথা নেই। এবারের বাজেট সবচেয়ে বড় বাজেট। অথচ এই বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কিছুই রাখা হয়নি। টেক্সটাইল খাতের করপোরেট ট্যাক্স কমানো হলেও এক্সপোর্টের উপর ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ যে লাউ সেই কদু।
জামাল হোসেন নামের আর এক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সরকারকে ৫টি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য, একটি প্রস্তাবও বাজেটে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই ডিএসইতে পড়তে শুরু করেছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, বাজেটের পাশাপাশি আসন্ন রমজানের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ডিএসইতে। রমজান উপলক্ষ্যে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছে না। আর যাদের বিনিয়োগ রয়েছে তারাও শেয়ার বিক্রি করে দ্রুতই মার্কেট ত্যাগ করছেন। |
ee7546bb-2097-48a2-b920-008d87da9256 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রভাব যেন তীব্রভাবে পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজেট পরবর্তী দুই কার্যদিবসেই সূচক ও লেনদেন ব্যাপকভাবে কমেছে। আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। আজ উভয় বাজারে প্রধান সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮২ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ২৫ কোটি টাকা কম। রোববার লেনদেন হয়েছিলো ৩০৭ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১ টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৭টি।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)প্রধান সূচক সিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ২৬০পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া ২২১ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টির,কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির। |
eab0e72c-6e0e-4bc0-824a-6154916cfbcc | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দি ইন্স্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) জ্বালানি সেক্টরে কস্ট অডিট বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেছেন।
সোমবার আইসিএমএবি এর প্রেসিডেন্ট আরিফ খান এফসিএমএ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা কামনা করেন।
আইসিএমএবি প্রতিনিধি দল কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টিং পেশার উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে সিএমএ-দের ভূমিকা বিশেষ করে কস্ট অডিট কার্যক্রম স্ববিস্তারে সচিবকে অবহিত করেন। এসময় সচিব আইসিএমএ এর সার্বিক উন্নয়ন কামনা করে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলে ইন্স্টিটিউটের সচিব মো: আবদুর রহমান খান এফসিএমএ, সাবেক প্রেসিডেন্টদ্বয় এম. আবুল কালাম মজুমদার এফসিএমএ ও মোহাম্মদ সেলিম এফসিএমএ এবং পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ) নাজমুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন। |
7f2c4e72-1e2d-43a6-b960-383e832f688f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা। কোম্পানির গত ৯ মাসে আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে এ ইপিএস হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, গত ৯ মাসে (জুলাই,১৫ – মার্চ,১৬) আইপিও পূর্ববর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬ পয়সা।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি,১৬ – মার্চ,১৬) কোম্পানিটি আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর আইপিও পূর্ববর্তী কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
একই সময়ে কোম্পনিটি কর পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। |
3459de23-66eb-41b8-8cfe-5ce4aa52f573 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সামিট এল্যায়েন্স পোর্ট লিমিটেডবিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) হিসাবে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে । সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির ঘোষিত বোনাস শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে ৬ জুন শেয়ারহোল্ডারদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরের এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৭ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২৮.০০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) ১.৩৮ টাকা । |
7f52d2fa-f5da-47ee-815b-c92a702ace2b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এক সাথে লেনদেন শুরু করেছ। প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৩০৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার লেনদেন মঙ্গলবার ১৩৫ টাকায় শুরু হয়েছে। তবে লেনদেন শুরুর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এমন নীতিগত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকে। নিষেধাজ্ঞার এমন তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় খুব ভালো হয়েছে। একমি কোম্পানির শেয়ার অনেক লোভের সৃষ্টি করবে। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অনেক বিনিয়োগকারীর পেট বাঁচবে।
সূত্র জানায়, একমির শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধা না দেওয়ার জন্য স্টক ব্রোকার্স, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্ট ফোলিও ম্যানেজারদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোম্পানির লেনদেনের প্রথম ৩০ দিনে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে একমিল্যাব মঙ্গলবার সকালে ১৩৫ টাকায় লেনদেন শুরু করলেও তা দরে রাখতে পারছে না। ইতোমধ্যে বেলা ১১:০৬ মিনিটে ১০ টাকা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকায়। অন্যদিকে সেল প্রেসার বেড়েছে।
সকালে লেনদেন শুরু পরে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা দর বাড়বে। সে প্রতিফলন না থাকায় আরো কমতে শুরু করেছে। তবে ৮৫ টাকা শেয়ারপ্রতি দর থেকে বর্তমান দরের দূরত্ব এখনো অনেক। জানা যায়, আজ ডিএসইতে একমির ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। পক্ষান্তরে সিএসইতে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০৫ টি শেয়ার হাতবদল হয়।
এদিকে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একমি’র শেয়ার সর্বনিম্ন ১১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় হাতবদল হতে দেখা যায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার ১১৯.৭০ টাকায় হাতবদল হয়। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪০.৪৯ শতাংশ। কারণ, কোম্পানিটির নির্দেশক মূল্য ছিল ৮৫.২০ টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আজ একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার সর্বনিম্ন ১১৫.৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকায় হাতবদল হতে দেখা যায়। এসময় কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ১১৭.৫০ টাকা।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য; ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য।
এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে খরচ করবে। |
d74cd3ce-a446-4ad0-8792-4209c8ea2109 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর অনুমতি পেয়েছে। কোম্পানিটিকে নতুন শেয়ার ইস্যু করে ৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকা মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)-এর নামে এই শেয়ার ইস্যু করা হবে। আইএফসি ২৮.৩০ টাকা দরে সিটি ব্যাংকের ৪ কোটি ৬০ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৩ টি শেয়ার কিনছে। আর এতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারে প্রিমিয়াম দিতে হয়েছে ১৮.৩০ টাকা । এ শেয়ার ক্রয়ের ফলে সিটি ব্যাংকের ৫ শতাংশ মালিকানা ধারণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লিখিত শেয়ার ইস্যু করে সিটি ব্যাংক ১৩০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৪ টাকা পাবে। এর মধ্যে ৪৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩০ টাকা যাবে পরিশোধিত মূলধনে। বাকী ৮৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৪ টাকা জমা হবে প্রিমিয়াম একাউন্টসে। আর নতুন শেয়ার ইস্যুর ফলে সিটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৭৫ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ৩১০ টাকা থেকে বেড়ে ৯২১ কোটি ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৪০ টাকায় উন্নীত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ার কেনা-বেচা ইস্যুতে আইএফসি ও সিটি ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। গত ২৪ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা চুক্তি অনুসারে শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করে। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করে সিটি ব্যাংক। আর গত ২ জুন প্রস্তাব অনুমোদন করে বিএসইসি।
এছাড়াও চুক্তিতে সিটি ব্যাংক সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য ২ কোটি মার্কিন ডলার যা বাংলদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসাবে) আইএফসির কাছ থেকে ঋণ হিসাবে গ্রহণ করবে। ৬ মাসের লাইবর (লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক এক্সচেঞ্জ রেট)এর চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ বেশী হারে এ সুদের হার কার্যকর হবে।
৩ বছরের মধ্যে সুদসহ ঋণের টাকা পরিশোধ করবে সিটি ব্যাংক। তবে ঋণের এ টাকা আংশিক বা পুরোপুরি ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবে আইএফসি। এক্ষেত্রেও প্রতিটি রূপান্তরযোগ্য প্রতিটি শেয়ারের ২৮.৩০ টাকা দর হবে বলেও জানানো হয়েছিল। এদিকে, ৪৯২তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরিবর্তন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটি আগামী ১৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৮ জুলাই এজিএম আহ্বান করেছে।
জানা যায়, আগামী ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ক্যান্টনমেন্টে ব্যাংকটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এজিএমের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে সিটি ব্যাংক ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। |
4dd152a7-5e4a-47a5-b294-08bc15a12585 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৪৮ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ১৪.৬ টাকা। মঙ্গলবার দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৪ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ১৪.৬ টাকা থেকে ১৬ টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৪.৫১ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ৩.৩৪ শতাংশ, পূবালি ব্যাংকের ২.৭৯ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের ২.৭৯ শতাংশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ২.৭৮ শতাংশ,
সাউথইষ্ট ব্যাংকের ২.৬৩ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ২.৬০ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৩৮ শতাংশ, এমজেএল বিডি’র ২.২৮ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। |
b98be60c-2722-499f-ad71-39d2d1a93051 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৩০ শতাংশই হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪৭১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে ১৪০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারে। যা ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২৯.৮৬ শতাংশ। এছাড়া কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে।
৮৫.২০ টাকা দিয়ে লেনদেন শুরু হয় একমি ল্যাবরেটরিজের। যা ৩৪.৫ টাকা বা ৪০.৪৯ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ১১৭.৯০ টাকায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪১২.৫১ পয়েন্টে। যা সোমবার ১৪.৯৬ পয়েন্ট কমেছিল। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৫টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২১১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর।
ডিএসইতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার। এ কোম্পানির ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে থাকা লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এমজেএল বিডি। লেনদেনে এরপর রয়েছে— বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, গ্রামীণফোন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ইসলামি ব্যাংক। |
ae691625-6e37-4942-be26-b7b52ec5ff14 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (এসপিসিএল) শেয়ার দর বাড়ার কোনো কারণ নেই। কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই গত ৬ জুন নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৫ মে থেকে এসপিসিএলের শেয়ার দর টানা বেড়ে চলেছে। এই সময়ে মাত্র ২ দিন শেয়ারটির দরপতন হয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারটির দর ১০৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১৪০ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা বা ২৯ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ। |
9e99f34d-2507-4265-b0c9-3a9b1566e26b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার কিনতে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা দিতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, একমির শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধা না দেওয়ার জন্য স্টক ব্রোকার্স, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্ট ফোলিও ম্যানেজারদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোম্পানির লেনদেনের প্রথম ৩০ দিনে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড মঙ্গলবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে ” একমিল্যাব”। আর কোম্পানি কোড হবে ১৮৪৯১। অন্যদিকে সিএসইতে কোম্পানিটির স্ক্রীপ কোড হবে ” একমিল্যাব”। আর কোম্পানিটির স্ক্রীপ আইডি হবে ১৩০৩০।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য; ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য।
এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে খরচ করবে।
কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভি ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
ed9e6bbc-0e77-4880-a423-22801da32cfe | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এক ওভারে ১৭ রান হয়। কিন্তু ১ বলে ১৭ রান! হ্যাঁ। এমনই ঘটনা ঘটেছিল ২০০৪ সালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। পাকিস্তানের বোলার ছিলেন রানা নাভিদুল ইসলাম। অন্যদিকে ব্যাটসম্যান ছিলেন ভারতের বীরেন্দ্র শেওয়াগ। রানার ১ বলে শেওয়াগ তুলে নেন ১৭ রান।
ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? তখন অবশ্য নো বলে ফ্রি হিট ছিল না। রানা নাভিদ ওভারের প্রথম ৩টি বলই নো দেন। আর শেওয়াগ এই ৩ বল থেকে দুটি চারের সাহায্যে তুলে নেন ১১ রান। পরের বলটি ডট হয়। পরের দুইটি বল আবারও নো। এরমধ্যে একটি চার হাঁকান শেওয়াগ। ১টি সঠিক বল থেকে রান আসে মোট ১৭টি। |
53545b73-0a08-4661-a867-ff180643f346 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধানে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ব্যাংকটি। ব্যাংকটির সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্রোকারেজ ও সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেড ৩৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের উপর। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে।
জানা গেছে, ঋণ থেকে মূলধনে রূপান্তর করার জন্য সিটি ব্রোকারেজেকে ১০০ কোটিসহ মোট ১৮০ কোটি টাকা দিবে। আর সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সে বিনিয়োগ করবে ১৮০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনীতে আরোপিত শর্তের কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে যায়। আগে প্রতিটি ব্যাংক তার আমানতের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারতো।
২০১৩ সালের সংশোধনী অনুসারে এখন ব্যাংকগুলো নিজ নিজ রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। আইনের এই সংশোধনীর ফলে আগের আইনে বিনিয়োগ করা কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ সীমার বাইরে পড়ে গেছে।
এ ব্যাংকগুলোর উপর চলতি বছরের ২৩ জুনের মধ্যে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি করতে হলে ব্যাংকগুলোকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এই বিক্রির চাপ কমাতেই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সময় না বাড়িয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি সমন্বয় করতে চায়। |
35c5b0da-82df-44cc-b2a3-25119fec937c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩১ শতাংশ বা ১৪৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪৭১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছিল।
যার পরিমাণ বুধবার হয়েছে ৩২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭.৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪২০.৪৩ পয়েন্টে। যা আগের দিন ১.৫৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। ডিএসইতে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ৮৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির।
আগের দিনের ন্যায় বুধবারও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারে। এ কোম্পানির ৩০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার কেমিক্যালের ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
লেনদেনে এরপর রয়েছে— শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, এমজেএল বিডি, ব্র্যাক ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পাওয়ার গ্রিড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবারের লেনদেনে সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ২৪.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৭২.৮৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। লেনদেন হওয়া ২২৬টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। |
c78287ea-f84e-4a18-87ab-3dedc5c2bb32 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসকাবে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭’এর উপর আইবিএফবির প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সুপারিশ করা হয়। জাতীয় প্রেসকাবে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭’ এর উপর আইবিএফবির প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইবিএফবি।
সংবাদ সম্মেলনে আইবিএফবি সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। যেখান থেকে শিল্পপতিরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিনা সুদে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। এতে করে একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে, তেমনি বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
তাই দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট দূর করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়াতে হবে।
বাজেট বাস্তবায়নে আইবিএফবির পক্ষ থেকে আরও কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর অন্যতম হচ্ছে- প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখা; বিদ্যমান ভ্যাট ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, রপ্তানি মূল্যের উপর উৎসে কর প্রস্তাবিত ১.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা,
ভ্যাটের পরিবর্তে আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া ও ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কার করে বিশেষ করে অর্থপাচার রোধে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। |
ac4df760-e699-4948-9392-c62f90e08225 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ৭৮২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে হাঁটছে। প্রথম দিনের লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২১তম বড় কোম্পানি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
গত মঙ্গলবার দিনের লেনদেন শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। ডিএসইর শীর্ষ মূলধনি কোম্পানি হচ্ছে গ্রামীণফোন। এ কোম্পানির বাজার মূলধন ৩৪ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। এদিকে কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে- বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মোট ঋণের পরিমাণ ৭৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বল্প ৩১০ কোটি টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ৪৭২ কোটি টাকা ঋণ।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ১২৪ টাকা দরে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন শুরু হয়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১৩৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে দিন শেষে তা ১১৯ টাকায় নেমে আসে। বুধবার কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হয় ১১২ টাকায় ।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে নিয়ম অনুসারে প্রথম একমাস কোম্পানি মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবে না। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির ৫৬৭তম সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারটির দর নির্ধারিত হয় ৭৭ টাকা। এক্ষেত্রে ১০ টাকার শেয়ারে আরও ৬৭ টাকা প্রিমিয়াম পেয়েছে কোম্পানিটি। ওষুধ খাতের এ কোম্পানিটি ৫ কোটি টাকা শেয়ার ছেড়ে ৫০ কোটি টাকা নিয়েছে। তবে প্রিমিয়ামসহ এ টাকার পরিমাণ ৪০৯ কোটি ৬০।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য, ১০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ডের এবং বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। গত ১৫ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে কোম্পানির আইপিও লটারির অনুষ্ঠিত হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার লেনদেন শুরু হয়।
কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভি ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। জানা গেছে- ২০১৩ সালে আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করে একমি ল্যাবরেটরিজ।
কিন্তু ওই সময়ে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির আইপিরও অনুমোদন না দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছিল, একমির চেয়ারম্যান নাসির-উর-রহমান সিনহা আল আরাফা ব্যাংকের শ্যামলী শাখার একটি ঋণের গ্যারান্টার।
ওই সময়ে ঋণটি খেলাপি হয়ে যায়। মেসার্স সিনহা ইন্টিগ্রেটেড বিজনেস সার্ভিসেসের নামে নেয়া ওই ঋণের পরিমাণ ছিল ২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর নাসির-উর-রহমান সিনহা একমি ল্যাবরেটরিজের কোম্পানির ১ কোটি ৩৪ লাখ শেয়ারের মালিক। যা মোট শেয়ারের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এরপর কোম্পানির বাজারে আসা নিয়ে একটু জটিলতা তৈরি হয়। তবে শেষ জটিলতার নিরসন হলে ২০১৬ সালে বাজারে প্রতিষ্ঠানটি।
গত মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) মিলে ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা এবং সিএসইতে ২২ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট লেনদেনের প্রায় ৩০ শতাংশই ছিল একমির। তবে শুরুর দিনে শেয়ারটি ১৩৫ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ওষুধ কোম্পানিটিকে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মোট পাঁচ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রথমে ৫০ শতাংশ শেয়ারের জন্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা দর (কাট-অফ প্রাইস) প্রস্তাব করেন যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। একই দরে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার।
বাকি ৪০ শতাংশ বা দুই কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৭ টাকায় বিক্রির অনুমোদন দেয় বিএসইসি। চাঁদাগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি কোম্পানিটি জানায়, সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে তাদের চাহিদার ৬ দশমিক ৭১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।
খসড়া প্রসপেক্টাস অনুসারে, শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থে তিনটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে একমি ল্যাবরেটরিজ। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একমি ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যাল, হার্বাল, আয়ুর্বেদিক ও ভেটেনারিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাঁচ শতাধিক ওষুধ উত্পাদন করে। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইএসও) সনদ পাওয়া একমি ল্যাবরেটরিজের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও রফতানি হয়। |
7ed2f887-4d50-4bc2-99f0-9a71fe24697d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি আজ সর্বশেষ লেনদেন হয় ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা দরে।
আজ কোম্পানিটি ২ হাজার ৬০৫ বারে ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৮টি শেয়ার লেনদেন করে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি ল্যাবের দর বেড়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আজ শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় ১২০ টাকা দরে। এদিন কোম্পানিটি ১৮ হাজার ৭৪১ বারে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৩১৩টি শেয়ার লেনদেন করে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ দর বেড়েছে। গেইনার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জাহিন স্পিনিং, বিবিএস, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, এনভয় টেক্সটাইল ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। |
4364e886-967e-4bdd-96d0-db22b81b14e6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দরপতনের শীর্ষে রয়েছে আইটি খাতের ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ার দর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৬.৯৭ শতাংশ। বুধবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ১৩.২ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২.১ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ১১.৯ টাকা থেকে ১২.১ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ৪.৬০ শতাংশ, অষ্টম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৮১ শতাংশ, মন্নু জুট স্টাফলারের ৩.৭৩ শতাংশ, বিডি অটোকারের ৩.৩২ শতাংশ,
আইসিবি এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট এমএফ ১: স্কিম ১ এর ৩.০৮ শতাংশ, সুরিদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ২.৮০ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২.৭১ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনসের ২.৬৭ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
d1ad245c-83d0-443e-a21e-f7cf43837ecd | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করেছে। তবে রেকর্ড ডেট অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অর্থবিল ২০১৫ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে কোম্পানিটির এজিএম স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটি আগামী ১৬ জুন এজিএম করার ঘোষণা দিয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানির হিসাব বছর জুনে শেষ হবে। এরপরে কোম্পানিটি এজিএমের নতুন তারিখ ঘোষণা করবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, কোম্পানির ঘোষিত ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অর্ন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসাবে বিবেচিত হবে। আর ১৬ জুলাইয়ের আগেই এই লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বিএসইসির ৫৭০তম সভায় ব্যাংক-বিমা- আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে একই অর্থ বছর অনুসরন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অর্থাৎ জুলাই থেকে জুন আর্থিক বছর অনুসরণ করতে হবে, যা আগামী ১লা জুলাই ২০১৬ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। |
4ee69e22-6654-4f16-8e8b-3a608a1dd6ae | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সামান্য মূল্য সূচকের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বর্তমান বাজারের এ উঠানামাকে স্থিতিশীল বাজারের লক্ষন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এছাড়া অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) উত্থান হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১.৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪১৮.৯৯ পয়েন্টে। যা আগের দিন (৮ জুন) ৭.৯১ পয়েন্ট বেড়েছিল।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ বুধবার হয় ৩২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। আজ লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির।
ডিএসইতে লেনদেনে টানা তিনদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। এ কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএসআরএম লিমিটেডের ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে— বাংলাদেশ বিল্ডিং সিষ্টেম, লিন্ডে বিডি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, আমান ফিড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ। সিএসইতে সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৭৪.৩৪ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার। লেনদেন হওয়া ২৩১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ৯৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। |
80a4a53b-fd12-4309-bcf4-3225ccdf278e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৪৬ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৪.০৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ০.৪১ টাকা।
এছাড়া সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৫৮.৭২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৪.৩৯ টাকা (নেগেটিভ)। যা গত অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৫৩.০৩ এবং এনওসিএফপিএস ছিল ১৭.৬০ টাকা।
কোম্পানির ঘোষিত ডিভিন্ডে অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১০ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১ টায় হোটেল পূর্বানী ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকায় আয়ো জন করা হয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি গত সমাপ্ত অর্থ বছরে ৪০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। |
d1cba090-cde1-4ceb-b69c-27e28d0d089a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশজুড়ে আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা সেই যুবককে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি ইউনিট। খুনের দিন ওই যুবক সাদা গেঞ্জি পরা অবস্থায় ছিল। তার পিঠে একটি ব্যাগ ছিল। হাতেও ছিল একটি ব্যাগ। এই যুবককে একটি বিশেষ কৌশলে চট্টগ্রামের জিওসি মোড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার আটক করতে সক্ষম হয়েছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। আটক যুবকের নাম মনির হোসেন।
সূত্র জানায়, ৫ জুন ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে মনির হোসেনকে দেখা গেছে। তাকে ধরতে আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট মাঠে সর্বাত্মক অভিযান চালায়। এর একপর্যায়ে তাকে আটক করা সম্ভব হয়। মনিরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, সিসিটিভির ফুটেজের সঙ্গে কারও চেহারা হুবহু মিলে গেছে এমন একজনই হলেন মনির হোসেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আটক মনির হোসেনকে হত্যাকাণ্ডের সময়ের সিসিটিভির ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এ সময় সে অকপটে স্বীকার করেছে ফুটেজে থাকা ছবিটি তারই। ঘটনার সময় সে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল বলেও স্বীকার করে। তবে অন্যদের ছবি দেখানো হলে সে তাদের চেনে না বলে দাবি করেছে। কিন্তু খুনের সময় সে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে এমন ছবি ও ফুটেজ দেখানো হলে মনির আঁতকে ওঠে। তখন সে দাবি করে, সে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারী।
সম্প্রতি স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ফুটেজ দেখে মনিরের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় নিয়ে তারা ছবি মিলিয়ে দেখেছেন। বারবার ছবি মিলিয়ে দেখার পর ফুটেজ দেখানো হয় মনিরকেও। এ সময় মনির বলে, এটা তারই ছবি। ঘটনার সময় সে এই রোড দিয়েই যাচ্ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, মনির হোসেনের বাবার নাম আলী হায়দার। তার বড় ভাই কামাল হোসেন এলাকায় একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। সে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। চট্টগ্রামে সে বন্দরটিলা এলাকায় থাকে। এখানে তার ছোট ভাই রমজান আলী একটি কোম্পানিতে চাকরি করে।
চটগ্রামে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে হাসান, মাসুদ ও সালাহউদ্দিন নামে তিন অপরাধীর সখ্য গড়ে ওঠে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হোসেন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যায় জড়িত নয় বলে দাবি করলেও উগ্রপন্থীদের পছন্দ করে বলে স্বীকার করেছে।
মনির জানায়, যারা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত এদের সে সমর্থন করে। বৃহস্পতিবার তাকে আটকের পর দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তবে জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তারা মনে করছেন, খুনিরা যে সময় ঘটনাস্থলে আসে একই সময়ে মনিরও আসে। মূল খুনি বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যা করতে ঠিক ৬টার দিকে রাস্তার কোনায় অবস্থান নেয়। একই সময়ে মনিরও ঘটনাস্থলে চলে আসে। এদের আগে থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। একজন আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে অপারেশন সফল করে।
মাহমুদা খানম মিতু তার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওই রোডে প্রবেশ করে মনির। এর আগে সে জিওসি মোড় থেকে মেইন রোড হয়ে সোফিয়ান হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে। এ সময় তাকে ক্রস করে যায় সবুজ গেঞ্জি পরা আরেক খুনি। ওই যুবক ফোনে সবাইকে সংগঠিত করে। তার সঙ্গে ইশারায় কথা বলতে দেখা যায় মনিরকে।
তারপর সে হোটেলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কালো শার্ট পরা আরেকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে থাকে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, মনিরই ওই হোটেলের পাশ দিয়ে ইশারা দিয়ে এদের ঘটনাস্থলে আসার ইঙ্গিত করে। এর ফলে সবাই একে একে আসতে থাকে।
আর মনির বাবুল আক্তারের বাসার সামনে রোডে প্রবেশ করার পরপরই দেখা যায় মাহমুদা খানম মিত্ওু বেরিয়ে আসছেন। এ থেকে গোয়েন্দাদের ধারণা মনির আগেই প্রস্তুত ছিল। অথবা তাকে কেউ জানিয়ে দিয়েছে যে মিতু বাসা থেকে বের হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট জিজ্ঞাসাবাদকারী এক কর্মকর্তা আরও জানান, এ তথ্যের পর মনির বাসার রোডে প্রবেশ করে। ধারণা করা হয় পেছন থেকে মনিরই খুনিকে টার্গেট দেখিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে মূল নির্দেশনা তার কাছেই ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া এ জঙ্গির রয়েছে ফেসবুক আইডি। রয়েছে স্মার্টফোন। নিজেকে একটি হাসপাতালের দারোয়ান পরিচয় দেয়া এ যুবকের প্রযুক্তি ব্যবহার ভাবিয়ে তুলেছে গোয়েন্দাদের। তার মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফেসবুক আইডির বৃত্তান্ত। গোয়েন্দাদের কাছে মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচনে এ যুবক এখন বড় সূত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে। |
3cd3da2d-eacb-4e3f-8923-81c3ab2c7bd0 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পাবনায় এবার এক সেবাশ্রমের কর্মী নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে (৬২) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি জেলার হেমায়েতপুরে শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর সেবাশ্রমের বইয়ের দোকানের কর্মী। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের ১ নম্বর গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে এ হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নাটোর ও পাবনায় পাদ্রি, পুরোহিত হত্যা এবং চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার পর জঙ্গিবিরোধী ‘সাঁড়াশি অভিযান’ শুরুর প্রথম দিনেই পাবনার হেমায়েতপুরে আবারও খুন হলেন সেবাশ্রমকর্মী। নিত্যরঞ্জন পান্ডে গোপালগঞ্জ সদরের আরুয়া কংশু এলাকার মৃত রসিক লাল পান্ডের ছেলে। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে পাবনার ঠাকুল অনুকুল চন্দ্র আশ্রমে সেবক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো আশ্রমের বইয়ের দোকানের কর্মচারী নিত্যরঞ্জন পান্ডে হাঁটতে বের হন। পাবনা মানসিক হাসপাতালের ১ নম্বর গেট অতিক্রম করার সময় পেছনে থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিত্যরঞ্জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি বলতে পারেননি ওসি আব্দুল্লাহ আল হাসান।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, হত্যার কারণ উদঘাটনে এবং এ হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে এর মধ্যেই পুলিশ অধিকতর তদন্তে নেমেছে। পুলিশ জানায়, নিত্যরঞ্জনের মাথায়, ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, নিত্যরঞ্জন দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সবাই তাকে ওই এলাকারই একজন বলে জানতেন। সৎসঙ্গ সেবাশ্রমে কাজ করতেন। সাদামাটা মানুষ ছিলেন। কোনো শত্রু তার ছিল না। বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার মতো নিত্যরঞ্জন হত্যার পেছনেও জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে তাদের সন্দেহ।
গত রোববার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
একই দিন বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলের নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার খ্রিস্টানপাড়ায় নিজের দোকানে খুন হন সুনীল গোমেজ (৬০)। সুনীল খ্রিস্টানপাড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। বাসার পাশেই তার দোকান। তার ভাই প্রশান্ত গোমেজ দিনাজপুরে একটি চার্চের ফাদার, যে জেলাটিতে সম্প্রতি এক খ্রিস্টান পাদ্রি আক্রান্ত হয়েছিলেন।
একদিন পরই মঙ্গলবার (৭ জুন) ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় কড়াতিপাড়া গ্রামে একজন হিন্দু পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সকাল ৯টার দিকে করাতিপাড়ার বাড়ি থেকে সাইকেলে করে কালীগঞ্জ উপজেলার একটা বাড়িতে পুজোর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন পুরোহিত আনন্দ গোপাল। ওই সময় মহিষাডাঙ্গা গ্রামে মাঠের ভেতরে মোটরসাইকেলে করে আসা তিন যুবক ওই পুরোহিতকে বিলের মাঝখানে ফেলে গলা কেটে খুন করে চলে যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, ধর্মযাজক, পুরোহিত, বৌদ্ধভিক্ষু, মুয়াজ্জিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেশ কয়েকটি খুনের পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হলেও সরকার বলছে, দেশে আইএস নেই। দেশীয় জঙ্গিরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতিটি খুনের পর চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির একে অপরকে দোষারোপ। সরকার হত্যাকাণ্ডগুলোকে ‘টার্গেট কিলিং’ বলে বিএনপি-জামায়াত এতে জড়িত আছে বলছে। সম্প্রতি তিন দেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গুপ্তহত্যায় যে বিএনপি-জামায়াত জড়িত, তার ‘তথ্য-প্রমাণ’ সরকারের কাছে আছে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, খুনে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত। দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এবং তালিকাভুক্ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে টানা সাত দিন সাঁড়াশি অভিযানের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশের চলমান সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেই শুক্রবার ভোরে নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে কুপিয়ে হত্যা করল দুর্বৃত্তরা। |
1e63f113-5e93-40d8-98b2-8864d56f2ba2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে পুঁজিবাজার ধীরগতিতে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। গত এক মাসের বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, বাজারে সুচকের স্বাভাবিক উথান ছিল ন, তেমনি সুচকের অস্বাভাবিক পতন ছিল না। যার ফলে বুঝা যায় বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করছে।
এছাড়া মন্দা পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা হাত গুটিয়ে নিলেও আবারও সক্রিয় হচ্ছেন প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। কম দামে ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারায় এসব বিনিয়োগকারী দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করে দেশের পুঁজিবাজারে ফিরছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে তৎপরতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিদেশী বিভিন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের প্রতি নজর ছিল। তারা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের চিন্তা-ভাবনা করছেন। গত কয়েক মাস ধরেই বিদেশী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেচার চেয়ে কেনায় মনোযোগী ছিলেন বিদেশীরা।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারী দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করে। হুট করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে কম। তাই তারা শেয়ারের দর কম থাকলে তারা বেশি বিনিয়োগ করে। বর্তমানে শেয়াবাজারের সূচক অনেকটা নিচে, যা বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমিয়ে এনেছে। ফলে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে।
ডিএসই’র সবশেষ তথ্যানুযায়ী, মে মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা আগের মাসে (এপ্রিল) ছিলো ৭১১ কোটি টাকা। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে শেয়ার বিক্রির চেয়ে কেনায় অবদান বেশি।
জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিদেশিদের দেশের বাজারে আনতে পুঁজিবাজারে নানা সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন, সফটওয়্যারের আধুনিকায়ন, বিএসইসিকে শক্তিশালীকরণ এবং আইনগত সংস্কার।
তাছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট পাস করা হয়েছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিএসইসি অনেককে জরিমানা করছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এ ধরনের নানা সংস্কারের পরও পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়েনি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থা বিরাজ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়ে যায়। আর বাজার ভাল হলে তারা শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে পড়েন। ২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। আর এ কারনে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
ফলে ২০১১ সাল শেষে বিনিয়োগে খুব বেশি স্থিতি থাকেনি। একইভাবে ২০১৪-২০১৫ সালও দেশের পুঁজিবাজারের জন্য খুব একটা ভাল যায়নি। ওই সময় দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দা পরিস্থিতি গেছে।
আর উল্লেখিত বছরে বিদেশীরা ভাল পরিমানের শেয়ার কিনেছেন। পরবর্তীতে নানা আশঙ্কায় তারা দীর্ঘমেয়াদে শেয়ার ধরে রাখেননি। তবে বিগত সময়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছরই বিনিয়োগের পরিমান বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের বিদেশী বিনিয়োগ বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌছেছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থায়ও ধারাবাহিক বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি শুভ ইঙ্গিত বহন করে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ইতোমধ্যে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া বিদেশিরা সবসময় কোম্পানির সার্বিক অবস্থা ও বর্তমান শেয়ারের দাম দেখে, গবেষণার পর শেয়ার কেনেন। এটা পুঁজিবাজারে জন্য ইতিবাচক। এছাড়া বর্তমান বাজার প্রেক্ষাপটে বিদেশিদের বিনিয়োগ দেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। আশা করছি দেশি বড় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সক্রিয় হবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ উপযোগী হয়েছে। এখনই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সময়। এছাড়া বিএসইসি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, শেয়ারের দাম ও কোম্পানিগুলোর পিই রেশিও’র অবস্থান দেখলেই বোঝা যায় যে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ উপযোগী হয়েছে। এখনই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সময়। এখন বাজারে সূচক অনেকটা নিচে, যা বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমিয়ে এনেছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর অনান্য দেশের পুঁজিবাজারের তুলনায় আমাদের এখানে খুব বেশি বিদেশী বিনিয়োগ যে আছে, তা নয়। তবে মার্কেটের অবস্থা খারাপ থাকলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অধিক পরিমানে শেয়ার ক্রয় করেন। আর মার্কেট ভাল অবস্থানে ফিরে আসলে তারা বিক্রি করে বেরিয়ে পড়েন-এটাই তাদের রীতি।
তবে যাই হোক না কেন, বাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়লে মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়ে আর মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়লে বাজার গতিশীল হয়। তাই দীর্ঘমেয়াদে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আরো তৎপর হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের পিই রেশিও, শেয়ার দর, ইপিএস, সূচক ও লেনদেনের সার্বিক গতি প্রকৃতিসহ বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে শেয়ারের দাম ও কোম্পানিগুলোর পিই রেশিও কম রয়েছে। যার ফলে বিদ্যমান বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিও কম। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ যোগ্য তারল্যের যোগান রয়েছে।
যার ফলে বিনিয়োগ অনুকূল পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা করতে সক্ষম। তবে এখনো দেশের পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংসহ তথ্য ভিত্তিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের বদলে গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
তাছাড়া অনেক সময় কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই বাজার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। তাছাড়া আইপিওর মাধ্যমে দুর্বল ভিত্তির কোম্পানি পুঁজিবাজার প্রবেশের কারণে কিছুদির পরেই এ সকল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ফলে এ ধরনের বিষয়গুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে পুঁজিবাজার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। তাই দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরো কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রোটেকশন) আইনের আওতায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সহজ শর্তে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার কিনলে তাতে নির্ধারিত সময়ের জন্য লক ইন থাকে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিদেশীরা ওইসব শেয়ার বিক্রি করতে পারেন না। |
4955ce6f-8252-4111-badd-c6a6c5c373d2 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সুচকের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের পরিমান কমেছে। তবে বাজার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকায় বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা শেয়ার নিটিং করছেন।
কেউবা আবার নতুন করে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সবমিলিয়ে আগামী সপ্তাহে বাজার স্বাভাবিক থাকলে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগমুখী হবে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৪৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৬৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার।
সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৭৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৮৫ শতাংশ।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট। অপরদিকে,শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ বা ১৪ দশমিক ১০ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির।আর দর কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টকএক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৬৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টি কোম্পানির।আর দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। |
460f01ec-2bba-491f-924b-662d76093a0c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে এখন ফেসবুকে আলোচনার ঝড়। বিনিয়োগকারীরা এখন এই শেয়ার নিয়ে ফেসবুকে নানা স্ট্যার্টাস দিচ্ছেন। কেউ বলেছেন এই শেয়ার ২০০ টাকায় যাবে, আবার কেউ বলেছেন ১০০ টাকায় আসবে। তবে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে। মুলত বৃহস্পতিবার এই শেয়ারের দর বাড়ার ফলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে।
একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে ফেসবুকে শরিফুল আলম সুমন নামে এক বিনিয়োগকারী মন্তব্য লিখেছেন রোববার এ শেয়ার কেমন যাবে, রোববার থেকে ব শেয়ারের খেলা শুরু, সেখানে ২১ জন বিনিয়োগকারী মন্তব্য লিখেছেন। আর ডি শ্যামল নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, একমির আর্থিক বছর চলতি মাসে শেষ হবে। এরপর বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা আসছে। এটা বিনিয়োগকারীরা চিন্তা করতে পারবেন না।
মুতালিব হোসেন নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, এ পর্যন্ত বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা সব কোম্পানির শেয়ারে গেম হয়েছে। একমির শেয়ারে গেইম হবে। আগামী তিন কার্যদিবস এটা হল্ট থাকবে। এ শেয়ার তার মতে ২৫০ হবে।
মাসুদ রানা নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, আগামী সাপ্তাহ পুরোটাই একমির গেম হবার অপার সম্ভাবনা। আশাকরি সবাই ঈদটা ভালোভাবে কাটানোর জন্য ভালো একটা সেল রেট পাবেন।
মিজানুর রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার এখন বাই সিগনালে।
মঙ্গলবার এই শেয়ার প্রথম লেনদেন শুরু হলে বুধবার দরপতনে কিছু কিছু বিনিয়োগকারী লিখছেন একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের দর ৯০ টাকার ঘরে আসবে। আর বৃহস্পতিবার যখন শেয়ার দর ৮.৪০ টাকা বা ৭.৫৩ শতাংশ বেড়েছে তখন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ শেষ নেই।
এছাড়া বর্তমান মন্দা বাজারে বিনিয়োগকারীদের লাভের হাতছানি দিচ্ছে এরই ধারবাহিকতায় লেনদেন শুরুর প্রথমদিনে ৩৪.৫০ টাকা বা ৪০.৪৯ শতাংশ দাম বেড়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে কিছুটা মূল্য সংশোধন হলেও তৃতীয় দিনে বিনিয়োগকারীর ব্যাপক আগ্রহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৪০ টাকা বা ৭.৫৩ শতাংশ বেড়েছে।
সাধারণত নতুন কোম্পানি বাজারে আসলে তার প্রতি বিনিয়োগকারীদের একটা ঝোঁক থাকে। বিশেষ করে লেনদেন শুরুর দিকে এসব কোম্পনির শেয়ার দর কিছুটা উর্ধ্বমুখী থাকে। আর সেই সুযোগে মুনাফার আশায় এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন শেয়ারহোল্ডারগণ।
পাশাপাশি একমির আর্থিক বছর চলতি মাসে শেষ হবে। এরপর সমাপ্ত অর্থবছরের সভা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে এমন আশায় এ কোম্পানির প্রতি আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা। তাই এ কোম্পানি সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দেশের উভয় স্টক একচেঞ্জে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে কোম্পানিটি। দিনশেষে ডিএসইতে একমি ল্যাবের ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৩১৩টি শেয়ার ১৮ হাজার ৭৪১ বার হাতবদল হয়। যার বাজার মূল্য ৪৫ কোটি ৭০ হাজার টাকা। আর সিএসই’তে এ্যাকমি ল্যাবের ৭ লাখ ২১ হাজার ৬৮টি শেয়ার ৫ হাজার ২১৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারমূল্য ৮ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
এছাড়া সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে ছিল একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০টি শেয়ার ২১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে এই কোম্পানির।
ভালো মৌল ভিত্তি কোম্পানি হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকায় এ কোম্পানির শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন। সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে বড় বড় সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১২০ টাকা দরে।
গুঞ্জন-গুজব চলছে, একমি ল্যাবরেটরিজ আর্থিক বছর চলতি মাসে শেষ হবে। এ কোম্পানিতে ভালো ডিভিডেন্ড দিবে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য এ কোম্পানি নাকি ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। এসব কারনে এখন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। তবে গুজব ও গুঞ্জনে কান না দেওয়ার জন্য বাজার বিশ্লেষকরা বিনিয়োগকারীদের সর্তক করেছেন। কোম্পানির ফান্ডামেটাল অবস্থা দেখে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে বলেছেন। |
d9f0f35f-c9ce-45dc-b54e-08e4f34c045c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: উচ্চঝুঁকি অথবা সম্পদের মান ও প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা কিংবা অন্য কোনো কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেলে সাধারণত সম্পদমূল্যের বিপরীতে তুলনামূলক কম দরে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বর্তমানে পাঁচটি খাতের গড় শেয়ারদর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর গড় সম্পদমূল্যের নিচে। খাতগুলো হলো— ব্যাংক, সাধারণ বীমা, কাগজ-মুদ্রণ, বস্ত্র এবং ভ্রমণ-অবকাশ।
বাজার বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাইস টু বুক ভ্যালু রেশিওর (পিবি অনুপাত) সাহায্যে কোনো কোম্পানির শেয়ারের সম্পদমূল্যের কী অনুপাতে কেনাবেচা হচ্ছে, তা অনুধাবন করা যায়। সম্ভাবনাময় কোম্পানির শেয়ারের সম্পদমূল্যের কয়েক গুণ দামে কেনাবেচা হলেও শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় থাকেন। এক্ষেত্রে অনুপাতটি বড় হয়।
বিপরীতে অনেক কোম্পানি রয়েছে, যাদের সম্পদ অনেক, কিন্তু এর সদ্ব্যবহারের অভাবে কোম্পানিগুলোর আয়ে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে না। এছাড়া অনেক কোম্পানির ঝুঁকি বেশি থাকায়, অনেক ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা-ব্যবস্থাপকদের ওপর আস্থা কম থাকায় বিনিয়োগকারীরা এর শেয়ারের জন্য যথেষ্ট দাম দিতে প্রস্তুত থাকেন না।
এক্ষেত্রে কোম্পানির পিবি অনুপাত তুলনামূলক কম হয়। শেয়ারের বাজারমূল্য সম্পদমূল্যের নিচে নেমে এলে অনুপাতটি ১-এর কম থাকে। ডিএসইর খাতভিত্তিক বাজারচিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক, সাধারণ বীমা, কাগজ-মুদ্রণ, বস্ত্র ও ভ্রমণ-অবকাশ প্রতিটি খাতেরই পিবি অনুপাত ১-এর নিচে।
এর মধ্যে ব্যাংকিং খাতে মোট ৩০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এ খাতের গড় পিবি অনুপাত দশমিক ৮১। সর্বশেষ চার প্রান্তিকের গড় মুনাফার ওপর ভিত্তি করে নির্ণীত ট্রেইলিং (চলমান) মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৬ দশমিক ৩। বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের নানা ঝুঁকির ব্যাপারে একটি সতর্কতা কাজ করছে।
এদিকে বীমা খাতে চলমান তীব্র প্রতিযোগিতা ও সুশাসনের দুর্বল চর্চায় বীমা খাতের কোম্পানিগুলোও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে নিম্নমুখী রয়েছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর, বিশেষ করে সাধারণ বীমা।
দেশের শেয়ারবাজারে এখন পর্যন্ত ৩৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিগুলোর গড় ট্রেইলিং পিই এখন ১০ দশমিক ৩, পিবি অনুপাত দশমিক ৮৮। মূলধন ঘন বস্ত্র খাতের বাজার মূলধনও এখন এ খাতের নিট সম্পদমূল্যের নিচে। এ খাতের ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির গড় ট্রেইলিং পিই ১২ দশমিক ৬ ও পিবি অনুপাত দশমিক ৯৭।
আরেক বিনিয়োগঘন খাত ভ্রমণ-অবকাশের গড় পিবি দশমিক ৫২। ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে এ খাতের সবচেয়ে বড় কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ারদর অভিহিত মূল্যের অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে, যা গড় পিবি কমাতে ভূমিকা রেখেছে। এ খাতে দেশের শেয়ারবাজারে চারটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। কাগজ ও মুদ্রণ খাতে দুটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। গড় পিবি অনুপাত দশমিক ৮৮ হলেও গড় ট্রেইলিং পিই ২৩ দশমিক ৯।
সপ্তাহের বাজারচিত্র: গেল সপ্তাহে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সিংহভাগ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। নিম্নমুখী ছিল সব সূচক। ডিএসইতে লেনদেনের দৈনিক গড় আগের সপ্তাহের চেয়ে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৩৪৫ কোটি টাকায় নেমে আসে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক সপ্তাহে দশমিক ৬১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। ১ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে স্টক এক্সচেঞ্জটির ব্লুচিপ সূচক ডিএসই ৩০। ডিএসইতে ৭৯টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে সপ্তাহ শেষে দর হারিয়েছে ২১৯টি সিকিউরিটিজ।
দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স সিএসসিএক্স দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ২৭৪ এর ঘরে। সিএসই ৩০ সূচকটি দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। সিএসইতে ৭৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৭০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারদর। খাতভিত্তিক দরচিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে খাদ্য-আনুষঙ্গিক, ব্যাংক, পাট ও প্রকৌশল ছাড়া সব খাতের বাজার মূলধন কমেছে। |
5671773c-ad26-4eea-bcbe-36b85f37ca22 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাবা: বিএসইসি’র আইনকে তোয়াক্কা করছে তিন মার্চেন্ট ব্যাংক। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পূর্বানুমোদন বাধ্যতামূলক। তবে তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংক এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো অনুমোদন নেয়নি।
অনুমোদন ছাড়া শীর্ষ পদে নিয়োগ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত সপ্তাহে নোটিস দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, নোটিস পাওয়া মার্চেন্ট ব্যাংক তিনটি হচ্ছে— ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও জিএসপি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এমডি অথবা সিইও নিয়োগ, বরখাস্ত, ক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) বিধিমালা, ১৯৯৬-এর কয়েকটি বিধি সংশোধন করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি। সে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মার্চেন্ট ব্যাংকের এমডি অথবা সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
একই সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকের এমডি অথবা সিইও কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার বা উদ্যোক্তা কিংবা পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না। আবার মার্চেন্ট ব্যাংকের এমডি বা সিইও পদটি তিন মাসের বেশি খালি রাখা যাবে না এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবেও কেউ তিন মাসের বেশি থাকতে পারবেন না।
তবে বিধিমালা লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদ শূন্য রাখা অথবা বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া এসব পদে নিয়োগ দেয়ায় গত এপ্রিলে ২০টি মার্চেন্ট ব্যাংককে চিঠি দিয়ে আইন লঙ্ঘনের কারণ জানতে চায় বিএসইসি।
পরবর্তীতে অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুত বিধি পরিপালনের অঙ্গীকার করে। তবে ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও জিএসপি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড বিএসইসির চিঠির জবাবে দুঃখ প্রকাশ করলেও তা পরিপালনের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এ অবস্থায় শীর্ষপদে বিএসইসির অনুমোদনের কথা স্মরণ করিয়ে তা পরিপালন না করার কারণ জানতে চেয়ে গত সপ্তাহে আবার নোটিস পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাতদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে ৫১টি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স পেয়েছে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ শুধু পোর্টফোলিও ম্যানেজার, কেউ আন্ডার রাইটার অথবা ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার নিবন্ধন পেয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীর্ষ পদে উচ্চ বেতনের কারণেই অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকের এমডি পদটি শূন্য রয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রত্যাশিত আয় না আসায় অনেক প্রতিষ্ঠান উচ্চ বেতনে শীর্ষ কর্মকর্তা নিয়োগে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। মার্জিন ঋণ সংকট, নিজস্ব পোর্টফোলিওতে লোকসান ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে চলছে।
সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে মার্চেন্ট ব্যাংক চালাতে হলেও বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই এ অনুমোদন নেয়নি। আইন অনুযায়ী এমডি পদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ যদি সে পদে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে কমিশন প্রয়োজনবোধে নির্ধারিত সময়ের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকেই বহন করতে হবে।
জানা গেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিচালক অথবা শেয়ারহোল্ডার কমিশনের অনুমোদন না নিয়েই সংশ্লিষ্ট পদে বহাল রয়েছেন। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এমডি অথবা সিইও পদ পূরণ করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। ভারপ্রাপ্তদের সাময়িকভাবে এ পদে থাকার বিধান থাকলেও কেউ কেউ বছরব্যাপী পদে বহাল রয়েছেন। আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে এমডি পদটি দীর্ঘদিন ধরেই শূন্য রয়েছে। শীর্ষপদে আইন লঙ্ঘনকারী এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশের মালিকানাই ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে।
ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও তানজিল চৌধুরী। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইসি সিকিউরিটিজ। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে ইসি সিকিউরিটিজ। আজম জে চৌধুরীর ছেলে তানজিল চৌধুরী ইস্ট কোস্ট গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদেও রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটি মূলত নিজেদের পোর্টফোলিও পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া আইপিওতে আন্ডার রাইটিং ও করপোরেট ফিন্যান্স করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় নিজের অংশীদারিত্ব থাকার পরও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে ইসি সিকিউরিটিজের সিইও হিসেবে তানজিল চৌধুরী রয়েছেন। অন্যদিকে উত্তরা ফিন্যান্স ও জিএসপি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের শীর্ষ নির্বাহীর পদ পূরণে বিএসইসির অনুমোদন নেয়া হয়নি। |
edc79129-2cb1-408e-9783-ab6972fdd319 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার কোন সুত্রে চলছে না। সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথায় পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়ছে না। পুঁজিবাজার চলছে অদৃশ্য শক্তিতে। বর্তমান পুঁজিবাজারের টালমাতাল পরিস্থিতি খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থারা বুঝতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন বাজার কে চালাচ্ছে। কোন গতিতে পুঁজিবাজার চলছে।
এরকম নানা প্রশ্ন খোদ বিনিয়োগকারীদের। কারন প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজার জেগে উঠার কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কিন্তু বাজেট পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সেই কথা ভুল প্রমাণিত হলো। তার জেগে উঠার ডাকে সারা নেই পুঁজিবাজারে। ফলে বিনিয়োগকারেীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করেছে।
কারণ, সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন তাহলে অর্থমন্ত্রীর কথায় দাম নেই। কারন অর্থমন্ত্রীর বলার পরও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। তাহলে কেন বললে পুঁজিবাজার ভাল হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারসাজি চক্রের তৎপরতা, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, তারল্য সঙ্কটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘ দিন ধরে শেয়ারবাজারে চলছে অস্থিরতা। আর ধারাবাহিক দরপতনে নিঃস্ব হয়েছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা তাকিয়ে ছিলো জাতীয় বাজেটের দিকে। কিন্তু বাজেটে পুঁজিবাজার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রস্তাব বা দিক নির্দেশনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘বাজেট এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এখনও আমাদের প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখার সুযোগ আছে। আমরা আশা করছি, পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে।’
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের দেয়া প্রস্তাবের প্রতিফলন ঘটেনি।’ তবে বাজেট পাসের আগে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সিএসইর দেয়া প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছেন তিনি।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘বাজেট বক্তব্যে পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর আশাবাদ ইতিবাচক। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারেরর কাঠামোগত অনেক সংস্কার হয়েছে। যা বাজারে দীর্ঘ মেয়াদী সুফল বয়ে আসবে।’ তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিএসইর দেয়া প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (৫ জুন) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার ২১৪ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৬৯ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ৮৩৭ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৪৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫০২ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৩৪৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬১ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস কমেছে ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এ সময় ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির আর লেনদেন হয়নি চারটি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে, গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৬৮ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ১০ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৬৬ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ৫১ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২০টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এদিকে, গত ২ জুন (বৃহস্পতিবার) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এসময় পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ ও সুদ (১০ লাখ টাকা পর্যন্ত) মওকুফের ঘোষণা ছাড়া বিশেষ কোনো প্রণোদনা ঘোষণা উঠে আসেনি প্রস্তাবিত বাজেটে।
তবে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের শেয়ারবাজার এখন নিয়মমাফিক পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে ফটকাবাজির (কারসাজির) অবসান এবং নির্মূল হয়েছে। এ কারণে শেয়ারবাজার এবার জেগে উঠবে। আর অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজার নিয়ে আশাবাদী হলেও সন্তুষ্টি নয় বাজার সংশ্লিষ্টরা। |
f32dddb2-bdef-40ff-a533-b541cee9d4e5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার অপরিসীম। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে পুঁজিবাজার। তাই বাজেট প্রস্তাবনায় পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই খাতটি এখনও বিনিয়োগকারীদের পরিপূর্ণ আস্থা অর্জনে সফল নয়।
তাই দেশের পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান। রোববার জাতীয় সংসদের বাজেট অধীবেশন চলাকালে এই দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, বিশেষ কোনো সুবিধা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে কোনো বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। তাতে এই বাজার গতিশীলতা হারাচ্ছে। পুজিবাজারকে গতিশীল করতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বাড়াতে কিছু প্রণোদনার দাবিও জাতীয় সংসদে তুলে ধরেন এই সাংসদ।
তিনি বলেন, বাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইড করেছেন অর্থমন্ত্রী। ডিমিউচ্যুয়ালাইড পরবর্তী সময়ে ৫ বছর কর রেয়াত সুবিধার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে এটা সম্পূর্ণ দেওয়া হয়নি। পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাড় করাতে হলে এই সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত দাবির প্রসঙ্গে আব্দুর তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা এবং ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকে উৎসে কর আরও হ্রাসের প্রস্তাব থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে সেগুলো আসেনি। ডিএসইর প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। |
511238cf-53ef-4726-adfc-35d2943bac93 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারের দর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫.৭১ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে রবিবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ১৪ টাকা। রবিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.২ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ১৩.১ টাকা থেকে ১৩.৫ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—হামিদ ফেব্রিকসের ৪.৪৪ শতাংশ, মডার্ন ডাইং-এর ৪.৩১ শতাংশ, আনলিমা আর্নের ৪.৩০ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৪.১২ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ৪.০৪ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৩.৮৯ শতাংশ,
সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৩.৮৫ শতাংশ, সাফকো স্পিনিং-এর ৩.৮২ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ৩.৭০ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
9feb7bfd-97c6-4208-90d4-8d5099cc7d10 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সুচিকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ লেনদেনের শুরুতে সুচকের পতন শুরু হলে শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমে শেষ হয়েছে আ্জকের দিনের কার্যক্রম। ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট এবং সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১১ পয়েন্ট।
আজ উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ০ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে এবং ০ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১৬৯টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- একমি ল্যাবরেটরিজ, লিন্ডে বাংলাদেশ, বিএসআরএম লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ডোরিন পাওয়ার, আমান ফিড এবং ইসলামী ব্যাংক।
অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি।
আজ সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১১ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ২২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ০ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৫৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১২৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- একমি ল্যাবরেটরিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডোরিন পাওয়ার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ইউনাইটেড এয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত এবং বেক্সফার্মা। |
07e0c102-e370-4255-a937-f55d4f3e0a6b | শেয়ারবার্ত্ ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে ।সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানির তথ্য পর্যালোচনার জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রসপেক্টাসটি বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
আর এটি বিশ্লেষণ করে ইয়াকিন পলিমারের মৌল ভিত্তি বিবেচনা করে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, আগামী ১০-২০ জুলাই পর্যন্ত এ কোম্পানির আইপিওতে স্থানীয় ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন।
জানা যায়, পুঁজিবাজারে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ইয়াকিন পলিমার । আর অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
যার মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০টি শেয়ার। অর্থাৎ প্রতিটি বিনিয়োগে ৫ হাজার টাকা জমা করতে হবে বিনিয়োগকারীদের। আর উত্তোলিত টাকা দিয়ে মেশিনারিজ ক্রয়, কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। এদিকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি কোন প্রকার ঋণ পরিশোধ করবে না বলেও বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন ২০১৫ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.৪১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৪.৬১ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ফাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
a380f10a-61bd-4e3b-ab9e-2a4f1ab85ae6 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৪শ কোটি টাকার এসআইবিএল সেকেন্ড মুদরাবা সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ডটি ৬ বছর মেয়াদী। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলেই বন্ড ইস্যু করতে পারবে।
এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য ৫ লাখ টাকা। ব্যাক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য লট সাইজ ১ ইউনিট। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ ইউনিট। ব্যাক্তি বিনিয়োগকারীরা নূন্যতম ৫ লাখ ইউনিটের জন্য আবেদন করতে পারবে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১ কোটির জন্য আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। লিস্টিং স্ট্যাটাস হবে আন-লিস্টেডে। |
08260872-50cc-4a3e-9c66-abb42ccd9ac3 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ-রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জমি কিনেছে। কোম্পানিটি চতুর্থ দফায় ৪০ ডেসিমেল জমি কিনেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচসহ এই জমি কিনতে কোম্পানির মোট ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮০ টাকা খরচ হয়েছে। কোম্পানিটি ডাইস ও কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় ইউনিট সম্প্রসারণের জন্য এ জমি কিনেছে।
উল্লেখ, একই কারণে কোম্পানিটি প্রথম দফায় ২৭ ডেসিমেল জমি কিনে। দ্বিতীয় দফায় ২০ দশমিক ১২ ডেসিমেল এবং তৃতীয় দফায় ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ জমি কিনেছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। |
54dafe72-7245-4df9-96a3-6aa9cb83d8e1 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দিনভর সুচকের উঠানামার মধ্যে থাকলেও দিনশেষে সামান্য সুচক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজেট পরবর্তী বাজারে সুচকের উঠছানামার মধ্যে চলছে। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে সুচকের উকি মারছে। সুচকের উকি মারলে ও স্থিতিশীল বাজারের লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান বাজারে কারসাজি চক্র নিয়ন্ত্রন করছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন।
এদিকে আজ লেনদেনে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকে সামান্য উত্থান হয়েছে। একইসাথে বেড়েছে লেনদেনের পরিমান। তবে আগের দুই কার্যদিবস ঊভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছিল। স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪০৯.০৯ পয়েন্টে। যা রবিবার (১২ জুন) ৯.৫৮ পয়েন্ট ও সোমবার (১৩ জুন) ৪ পয়েন্ট কমেছিল। আজ ডিএসইতে ৩৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ সোমবার ছিল ৩৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। আজ লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির।
ডিএসইতে মঙ্গলবারের লেনদেনের মাধ্যমে টানা ষষ্ঠ দিন ধরে লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। এদিন কোম্পানির ২১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমান ফিডের ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাশেম ড্রাইসেল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে— লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, স্কয়ার ফার্মা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। সিএসইতে সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ২.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৪৯.০৮ পয়েন্টে। যা রবিবার ১১.২৮ পয়েন্ট ও সোমবার ১৬.১৯ পয়েন্ট কমেছিল।
মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৩টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১০৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। আজ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। যার পরিমান আগের দিন ছিল ২২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। |
96ac7d99-c1e8-4157-9e93-d08e7330dd3f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বীমা খাতের প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫.৯৫ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ৫৭.১ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৭ টাকায়। দিনের মধ্যে শেয়ারটির দরসীমা ছিল ৫১.৪ টাকা থেকে ৫৭.১ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে—দুলামিয়া কটনের ৫.৮০ শতাংশ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্সের ৫.৩৮ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৫.১৯ শতাংশ, বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের ৪.৬৯ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ৪.৩০ শতাংশ, সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৮৩ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৫৭ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৩.২৫ শতাংশ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৩.২২ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। |
f2cbced8-7fee-4b20-9cdc-6976eee33f04 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বার্ষিক ৫ শতাংশ সরল সুদে ঋণ দিবে। জামানতবিহীন ঋণ সুবিধার ‘ দারিদ্র মুক্তি’ আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল হক সিকদার বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত ঋণ প্রকল্পটি সম্ভব সকল প্রকার ছাড় দিয়ে প্রান্তিক ব্যবসায়িদের কাছে সহজলভ্য করার চেষ্টা করেছি।‘দারিদ্র মুক্তি’ ঋণ মূলত ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী,হস্তশিল্প,কুটির শিল্প এবং প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চালু করা হয়েছে।
এ সকল উদ্যোক্তা পেশাজীবি,কৃষক নূন্যতম ১০ টাকার হিসাব খুলে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। যেমন ,কামার,কুমার,জেলে,দর্জি,ফুল বিক্রেতা,তাঁতী কনফেকশনারীসহ খাবার প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তা, প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীরা জামানতবিহীন সহজলভ্য এই ঋণ সুবিধার আওতায় বিবেচিত হবেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আঠারো মাস অথবা আবর্তনশীল এ ঋণ সুবিধা গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা করে বার্ষিক ৫ শতাংশ করে সরল সুদে বিতরণ করা হবে।
এই ঋণ কর্মসূচীর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত,দূরযোগগ্রস্থ দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থানরত জনসাধারণকে ঋণ গ্রহনের আহবান জানাচ্ছি যাতে করে তারা কর্মক্ষম ও আয় উৎসারী কর্মকান্ডে নিয়োজিত হয়ে তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন পূর্বক দরিদ্রতা ও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা থেকে মুক্তি পায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক পারভীন হক সিকদার,রণ হক সিকদার,মোয়াজ্জেম হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। |
a26cacce-2750-4c38-8695-4db57ce73328 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দর্শকের ভুমিকা পালন করায় বাজার ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না। শত চেষ্টার পরও বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল বাজার উপহার পাচ্ছে না। ফলে বাজারের প্রতি বরাবরের মতো এখন ক্ষোভ বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে সূচক কমছে তো অন্যদিকে লেনদেন সামান্য বাড়ছে। এমন উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের শেয়ারবাজার। ওঠানামার মধ্যে থাকলেও গতিশীল হচ্ছে না এ বাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন সূচকের মিশ্র প্রবনতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে টাকার অংকে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। তবে উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে দরপতন হয়েছে। সব মিলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না শেয়ারবাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার নানামুখি সংস্কার কাজ করেছে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে। এ সংস্কার দীর্ঘ মেয়াদী সুফল বয়ে আনবে। কিন্তু তাৎক্ষণিক বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলার মতো কোনো উপাদান বাজারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রণোদনা ও বক্তব্য শেয়ারবাজার সস্পর্কে ছিল না।
এতে অনেকেরই বাজারের প্রতি আস্থা কমেছে। সেই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে বেশ নিস্ক্রিয়। সব মিলিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এ অবস্থায় স্টেক হোল্ডার ও সরকার এগিয়ে না আসলে বাজারের প্রতি দিন বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট তীব্র হবে বলে মনে করছেন তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। যা আগের দিনের চেয়ে ২৪ কোটি টাকা বেশি। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৩ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৪১ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৯টির শেয়ার দর।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে সিএসই৫০ সূচক দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে, সিএসআই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ৯৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে টাকা অংকে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের। এর মধ্যে বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। |
Subsets and Splits