document_id
stringlengths 36
36
| text
stringlengths 253
70.2k
|
---|---|
5f328309-a935-4e46-8ba6-fadf7355b697 | বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র মায়ের কোলে হৃদয়ের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
হৃদয় জয় করে নেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়।
২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন মা সীমা সরকারের কোলে করে পরীক্ষার হলে আসেন হৃদয় সরকার। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
হৃদয় এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র। হৃদয় জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি। কেননা তিনি এই বিভাগেই পড়তে চেয়েছিলেন। সমীরণ সরকার ও সীমা সরকারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় হৃদয় সরকার নেত্রকোণার আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও নেত্রকোণা জেলা স্কুল থেকে জিপিএ ৪.০৬ পেয়ে মাধ্যমিক পাস করেছেন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হৃদয় সরকারকে নিয়ে যুদ্ধের জন্য বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী মায়ের তালিকায় আসন করে নেন হৃদয়ের মা সীমা সরকার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি তাদের করা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ৮১তম অবস্থানে রয়েছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মা-ছেলের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের গল্প।
৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবার আয়োজনে ২৭ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসে হৃদয় সরকার ও তার বিশ্বখ্যাত মা সীমা সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হৃদয় তার স্বপ্নের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন, সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হৃদয়ের চলাচলের সুবিধার্থে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, নেত্রোকোনার উদ্যোগে একটি চার্জেবল ইলেকট্রনিক হুইল চেয়ার এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির ১৪৭০০/- টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ মঈনউল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আলালউদ্দিনসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হৃদয়ের যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় সমাজসেবার পক্ষ থেকে।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
d3f65d4f-46b1-4076-90f7-0d7feb89c522 | বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র মায়ের কোলে হৃদয়ের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
হৃদয় জয় করে নেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়।
২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন মা সীমা সরকারের কোলে করে পরীক্ষার হলে আসেন হৃদয় সরকার। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
হৃদয় এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র। হৃদয় জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি। কেননা তিনি এই বিভাগেই পড়তে চেয়েছিলেন। সমীরণ সরকার ও সীমা সরকারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় হৃদয় সরকার নেত্রকোণার আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও নেত্রকোণা জেলা স্কুল থেকে জিপিএ ৪.০৬ পেয়ে মাধ্যমিক পাস করেছেন।
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হৃদয় সরকারকে নিয়ে যুদ্ধের জন্য বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী মায়ের তালিকায় আসন করে নেন হৃদয়ের মা সীমা সরকার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি তাদের করা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ৮১তম অবস্থানে রয়েছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মা-ছেলের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের গল্প।
৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবার আয়োজনে ২৭ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসে হৃদয় সরকার ও তার বিশ্বখ্যাত মা সীমা সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হৃদয় তার স্বপ্নের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন, সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হৃদয়ের চলাচলের সুবিধার্থে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, নেত্রোকোনার উদ্যোগে একটি চার্জেবল ইলেকট্রনিক হুইল চেয়ার এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির ১৪৭০০/- টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ মঈনউল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আলালউদ্দিনসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হৃদয়ের যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় সমাজসেবার পক্ষ থেকে।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
1df65ad5-fc8a-47c8-b9a0-5f0cc5a3d33b | সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের অন্যান্য জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। ষাটের দশকের সৃষ্টিকৃত পরিদফতরটিই আজ সমাজসেবা অধিদফতরে উন্নীত হয়েছে।
এ অধিদফতরের কার্যক্রম প্রথম দিকে ছিল শহরভিত্তিক এবং সেবামূলক। সময়ের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে এ অধিদফতরের কার্যক্রম দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা নিরসনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে Urban Community Development Board, Dhaka-এর আওতায় ১৯৫৫ সালে শহর সমাজসেবা কার্যালয় এবং সমাজকল্যাণ পরিষদের আওতায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৩ সালের বঙ্গীয় ভবঘুরে আইন, ১৯৪৪ সালের এতিম ও বিধবা সদন আইনের আওতায় পরিচালিত ভবঘুরে কেন্দ্র (সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র), রাষ্ট্রীয় এতিমখানা (সরকারি শিশু পরিবার) পরিচালনার দায়িত্ব ১৯৬১ সালে গ্রহণ করে সৃষ্টি হয় সমাজকল্যাণ পরিদফতর। পরবর্তীতে সমাজসেবা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বিস্তৃত্তির কারণে ১৯৭৮ সালে সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠণমূলক বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয়ে ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদফতর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচেছদের আলোকে দেশের বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে এ অধিদফতর পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝুঁকি মোকাবেলা কর্মসূচি ইত্যাদি প্রবর্তনের ক্ষেত্রে এ অধিদফতরের ভূমিকা দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
বিভিন্ন কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক ও টেকসই মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের আওতায় আনয়নের জন্য ১৯৬০ সালে The Probation of Offenders Ordinance, ১৯৬১ সালে Registration and Control Ordinance, ২০১১ সালে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১৩ সালে শিশু আইন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০০৬ সালে কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এ অধিদফতর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ বা কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ ইত্যাদি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রথম দিকে কল্যাণকামী দৃষ্টিভঙ্গি (Welfare Approach) নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে এ অধিদফতর অধিকার ও ক্ষমতায়ন দৃষ্টিভঙ্গি (Right Based and Empowerment Approach) নিয়ে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
এ অধিদফতরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সেবার হাত সম্প্রসারিত করছে এবং স্থাপন করছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (বেসরকারি উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পে সীমিত আকারে সরকারি সহায়তা) অনুপম দৃষ্টান্ত। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন দিবস ও বছর উদযাপনের মাধ্যমে এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনায় এ অধিদফতরের রয়েছে স্বার্থক প্রয়াস।
সমাজ দর্শন এবং উন্নয়ন কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত সমাজকর্মীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা ভবন উদ্বোধনলগ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণা করেন। ৪ জুন ২০১২ তারিখের মন্ত্রিসভা বৈঠকে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণাপূর্বক দিবসটিকে ‘খ’ ক্যাটাগরি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে সমাজসেবার কর্মসূচিতে এসেছে নতুন গতি ও প্রাণের সঞ্চার এবং সমাজকর্মীগণ হয়েছে উজ্জীবিত।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
954b1e90-6e0d-4492-b64a-c5b3caa62e3f | সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের অন্যান্য জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। ষাটের দশকের সৃষ্টিকৃত পরিদফতরটিই আজ সমাজসেবা অধিদফতরে উন্নীত হয়েছে।
এ অধিদফতরের কার্যক্রম প্রথম দিকে ছিল শহরভিত্তিক এবং সেবামূলক। সময়ের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে এ অধিদফতরের কার্যক্রম দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা নিরসনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে Urban Community Development Board, Dhaka-এর আওতায় ১৯৫৫ সালে শহর সমাজসেবা কার্যালয় এবং সমাজকল্যাণ পরিষদের আওতায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৩ সালের বঙ্গীয় ভবঘুরে আইন, ১৯৪৪ সালের এতিম ও বিধবা সদন আইনের আওতায় পরিচালিত ভবঘুরে কেন্দ্র (সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র), রাষ্ট্রীয় এতিমখানা (সরকারি শিশু পরিবার) পরিচালনার দায়িত্ব ১৯৬১ সালে গ্রহণ করে সৃষ্টি হয় সমাজকল্যাণ পরিদফতর। পরবর্তীতে সমাজসেবা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বিস্তৃত্তির কারণে ১৯৭৮ সালে সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠণমূলক বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয়ে ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদফতর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচেছদের আলোকে দেশের বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে এ অধিদফতর পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝুঁকি মোকাবেলা কর্মসূচি ইত্যাদি প্রবর্তনের ক্ষেত্রে এ অধিদফতরের ভূমিকা দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
বিভিন্ন কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক ও টেকসই মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের আওতায় আনয়নের জন্য ১৯৬০ সালে The Probation of Offenders Ordinance, ১৯৬১ সালে Registration and Control Ordinance, ২০১১ সালে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১৩ সালে শিশু আইন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০০৬ সালে কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এ অধিদফতর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ বা কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ ইত্যাদি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রথম দিকে কল্যাণকামী দৃষ্টিভঙ্গি (Welfare Approach) নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে এ অধিদফতর অধিকার ও ক্ষমতায়ন দৃষ্টিভঙ্গি (Right Based and Empowerment Approach) নিয়ে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
এ অধিদফতরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সেবার হাত সম্প্রসারিত করছে এবং স্থাপন করছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (বেসরকারি উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পে সীমিত আকারে সরকারি সহায়তা) অনুপম দৃষ্টান্ত। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন দিবস ও বছর উদযাপনের মাধ্যমে এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনায় এ অধিদফতরের রয়েছে স্বার্থক প্রয়াস।
সমাজ দর্শন এবং উন্নয়ন কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত সমাজকর্মীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা ভবন উদ্বোধনলগ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণা করেন। ৪ জুন ২০১২ তারিখের মন্ত্রিসভা বৈঠকে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণাপূর্বক দিবসটিকে ‘খ’ ক্যাটাগরি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে সমাজসেবার কর্মসূচিতে এসেছে নতুন গতি ও প্রাণের সঞ্চার এবং সমাজকর্মীগণ হয়েছে উজ্জীবিত।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
8b30d2e0-c2f6-40eb-9916-de8ddcb569c6 | ১৯৭৩ সালে মহিলাদের জন্য দুটি সোসিও ইকোনোমিক ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়। ঢাকার মিরপুর ও রংপুরের শালবনে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার দুটিতে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা যাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সক্ষম হয়, সে উদ্দেশ্যেই স্থাপিত হয় আর্থ-সামাজিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এ দুটি কেন্দ্রে বর্তমানে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ২১৮ এবং শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৬,৬৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে চামড়ার জিনিসপত্র তৈরি, ব্লক-বাটিক, প্রিন্টিং, ফুল তৈরি, উল বুনন, পুতুল তৈরি, দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারি, পোষাক তৈরি, বাঁশ ও বেতের কাজসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সুযোগ প্রদান করা হয়।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
82499933-ec6c-46d1-a363-cc1a97c3e2a6 | সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ এপ্রিল ২০১৮
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র
- সরকারের শিশুবান্ধব নীতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা প্রসারের লক্ষ্যে সুবিধা বঞ্চিত ও ঝুকিঁতে থাকা বিপন্ন শিশুদের সুরক্ষা ও তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক (আইডিএ ক্রেডিট) সহায়তায় গৃহীত সার্ভিসেস ফর চিলড্রেন এ্যাট রিস্ক (স্কার) শীর্ষক প্রকল্পটি জুন ২০১৬ তে সমাপ্ত হয়।
- জুলাই ২০১৬ থেকে প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের কার্যক্রম বাৎসরিক ভিত্তিতে সরকারের সাহায্য মঞ্জুরি (কল্যাণ অনুদান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা চলমান রয়েছে।
- গাজীপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, বরগুনা, কক্সবাজার ও জামালপুর জেলায় স্থাপিত ১২টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’র মাধ্যমে ০৬ থেকে অনুর্ধ্ব ১৮ বছরের পথ শিশু, কমর্জীবি শিশু, মাতা-পিতার স্নেহ বঞ্চিত, গৃহকর্মে নিয়োজিত, পাচার থেকে উদ্ধার, হারিয়ে যাওয়া, নির্যাতনের শিকার হয়ে ঝুঁকিতে থাকা বিপন্ন শিশুদের সেবা্ প্রদান করে পরিবার বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকীকরণ/পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়।
- কেন্দ্রসমূহে পৃথক ভবনে ১০০ ছেলে শিশু ও ১০০ মেয়ে শিশুর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রগুলো দিবাকালীন/রাত্রিকালীন/সার্বক্ষনিক আশ্রয় সেবা প্রদান করছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আবাসন সুবিধাসহ খাদ্য, প্রয়োজনীয় পোষাক, স্বাস্থ্যসেবা, মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদান, নিয়মিত শরীর চর্চা ও খেলাধূলার ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিবাসী শিশুদের বছরে ০৪ (চার) সেট পোষাক, ০২ (দুই) সেট উৎসব পোষাক এবং শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া স্কুলগামী শিশুদের জন্য স্কুলের ড্রেস কোড অনুযায়ী পোষাক সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রের প্রতিটি শিশুকে সকাল ও বিকালের নাস্তাসহ ০২ (দুই) বেলা খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতীয় দিবস, ধর্মীয় উৎসবসহ বিশেষ দিবসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
- আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় নিবাসী শিশুর উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সক্ষমতার ভিত্তিতে কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। সেবার আওতায় আসা শিশুদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আবেগীয় ও মানসিক চাপে টিকে থাকা, কার্যকরি যোগাযোগ, সমঝোতা ইত্যাদি জীবন দক্ষতা উন্নয়নমূলক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
- ১৪ বছর উর্ধ্ব শিশুদেরকে আগ্রহ ও সক্ষমতার ভিত্তিতে স্থানীয় চাহিদা নিরূপণপূর্বক বিউটিফিকেশন, টেইলারিং, ব্লক-বাটিক, পেইন্ট/আর্ট (ব্যানার/সাইনবোর্ড), জুতা তৈরি, অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স ইত্যাদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে শিশুদের সমাজের মূল ধারার সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিস হিসেবে ঝুঁকিবিহীন কাজে নিয়োজিত করা হয়।
- আগস্ট ২০১২ থেকে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত ১২ টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ৮৮০৫ জন (৪৩০০ জন বালক ও ৪৫০৫ জন বালিকা) শিশুকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।এর মধ্যে ৬৭৯০ জন (৩৩৭৭ জন ছেলে ও ৩৪১৩ জন মেয়ে) জন শিশুকে তাদের পরিবার, আত্মীয় কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকীকরণ বা পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রসমূহে মোট ২০১৫ জন (৯২৩ জন ছেলে ও ১০৯২ জন মেয়ে)শিশু অবস্থান করছে।
Share with : |
501f02e1-6ecc-4b02-affe-9222365d314b | সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীদের দক্ষ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশে সরকারি শিশু পরিবার, তেজগাঁও, সরকারি শিশু পরিবার, রূপগঞ্জ, সরকারি শিশু পরিবার, চাঁদপুর, সরকারি শিশু পরিবার, রাজশাহী এবং সরকারি শিশু পরিবার, বাগেরহাট ৫টি প্রাক-বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ কেন্দ্রে শিশুদের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজেল মেকানিজম, সাধারণ ফিটার্স, ওয়েল্ডিং, কাঠের কাজ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ কারিগর দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবাসীগণ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ পর্যন্ত পুনর্বাসনের সংখ্যা ২,২৪২।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
7a0a7ddb-407b-49ef-8498-3e97d1ac8711 | শিশুদের সুরক্ষায় দেশব্যাপীস সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে ইউনিসেফের সহায়তায় চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ চালু হয়েছে। দেশের যেকোনো প্রান্তের কোনো শিশু কোনো ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন ও শোষনের শিকার হলে শিশু নিজে অথবা অন্য যে কোন ব্যক্তি বিনামূল্যে ১০৯৮ হেল্পলাইনে ফোন করে সহায়তা চাইতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনার প্রতিকার চাইবার পথটি সহজ হয়ে যাবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীন সমাজসেবা অধিদফতর শিশুআইন ২০১৩ অনুসারে শিশুঅধিকার ও শিশুর সামাজিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সারাদেশব্যাপী ‘Child help line 1098’ এর কার্যক্রম গত ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে ‘Child help line 1098’ এর দেশব্যাপী চালুর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। Toll free short code ‘1098’ এর মাধ্যমে বাল্য বিবাহ, শিশুশ্রম, শিশুনির্যাতন, শিশু পাচার ইত্যাদি শিশু অধিকার লংঘন সংক্রান্ত তথ্যাদি ‘Child help line 1098’ এর মাধ্যমে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে শিশুঅধিকার ও শিশুর সামাজিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক (24X7) প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকার আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদফতরের ৮ম তলায় Child help line এর Centralized Call Center (CCC) স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিরদিনসহ ২৪ ঘণ্টা Call Center টির কার্যক্রম চালু থাকে।
১০৯৮ হেল্পলাইন কী ?
এটি এমন একটি ব্যবস্থা বা পরিসেবা, যা সকল প্রকার প্রভাব বা চাপমুক্ত থেকে শিশুর সুরক্ষা প্রদানে সকল প্রকার গোপনীয়তা রক্ষা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সাধারন ফোনের মাধ্যমেই মানুষ ১০৯৮ হেল্পলাইনের সাহায্য পেয়ে থাকে। ২৪ ঘন্টায়ই দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে ১০৯৮ হেল্পলাইন এ ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
১০৯৮ হেল্পলাইনের কেন দরকার হয় ?
অনেক সময় শিশুরা বা বড়রা তাদের সমস্যা বা সুরক্ষা প্রয়োজন- একথাটি বন্ধু বা পরিবারের লোকজনদের কাছে বলতে পারে না। যেমন- কিশোরীরা ইভটিজিং-এর শিকার হলে কাউকে বলতে ভয় পায়। সকলে ভাবে যে, তাদের সমস্যা অন্য কেউ বুঝতে পারবে না, বা নিজেদের সমস্যার কথা বললে চারপাশের সবাই তাদের সঙ্গে অন্যরকম ব্যবহার করবে। কিছু ক্ষেত্রে খুব সংবেদনশীল বিষয়ও আমরা আমাদের কাছের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই না। অনেক সময় শিশুরা মুখ ফুটে কোনও কথা বলতে পারেনা কিংবা কীভাবে নিজের কথা বলা উচিত, সে সর্ম্পকে কোনও স্পস্ট ধারনা থাকে না। এরকম পরিস্থিতিতে, হেল্পলাইনের সাহায্য নিয়ে প্রতিকার পাওয়া যাবে।
১০৯৮ হেল্পলাইন কী সহায়তা করে?
১০৯৮ হেল্পলাইন কিভাবে সহায়তা করে?
চাইল্ড হেল্পলাইন-১০৯৮ অর্জন
(ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)
কেস স্টাডি ১: চার শিশুর আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ
রহিমা (১২), কলি (১০), মমতাজ (৯) এবং তাসলিমা (১২) সবাই হাজারীবাগ এলাকায় বউ বাজার এলাকায় পিতা-মাতার সাথে বসবাস করছে। তাদের পিতা-মাতা খুবই দরিদ্র, কেউ রিক্সা চালায় কিংবা দিনমজুর। গত ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখ বিকালে একজন ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানায়, উল্লেখিত শিশুরা যৌননির্যাতনের শিকার। নির্যাতনকারী মিজান, বয়স আনুমানিক ৪২ বছর, বউ বাজার এলাকায় হোটেল ব্যবসা রয়েছে। কলার জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশীর আয়োজন করা হয় এবং ধর্ষককে চর-থাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিবাবকগণ উক্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় বিধায় চাইল্ড হেল্পলাইনের সহায়তা কামনা করেন। তারা আইনগত ভাবে বিষয়টির সুরাহা চান।
হেল্পলাইন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট ও পরবর্তীতে কলার এর সাথে হাজারীবাগ থানার ওসির সাথে কলারসহ কল কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে তথ্য দেওয়া হয়। হাজারীবাগ থানার ওসির সহায়তায় ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে যৌন হয়রানী মামলা হয়। প্রবেশন কর্মকর্তা ও হেল্পলাইনের ক্রমাগত যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশ ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখেই রাত নয়টার সময় নির্যাতনকারী মিজানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে একজন শিশুর পিতা জনাব আব্দুর রহিম হেল্পলাইনে ফোন করে জানান, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উক্ত মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবি নিয়োগের মতো আর্থিক সঙ্গতি তার নাই। বিষয়টির দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে কলারকে Law Support Center for Human Rights প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব এডভোকেট আলাউদ্দিন খান (০১৭১২৮২৩২৫৬) এর সাথে কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে পুরো বিষয় অবহিত করা হয় এবং উক্ত মামলা পরিচালনার জন্য সহায়তা চাওয়া হয়। এডভোকেট আলাউদ্দিন খান মামলাটি পরিচালনার জন্য সহায়তা প্রদান করবেন বলে সম্মতি দেন এবং ঐদিনই কোর্টে হাজিরা দেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া পর বিজ্ঞ আদালত নির্যাতনকারী কে সাজা প্রদান করেন। শিশুরা বর্তমানে বাবা-মা এর সাথে আছে এবং নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে।
কেস স্টাডি-২: রেললাইন থেকে শান্তির নীড়ে
কুমিল্লা রেল ষ্টেশনের কাছে সাত মাস বয়সি একটি শিশু পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে নিকটস্থ একটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। শিশুটির মুখ মন্ডলে দাগ এবং একটি পা তুলতে পারেনা (প্রতিবন্ধি)। অজ্ঞাত এ শিশুটির বিষয় কুমিল্লার সমাজ সেবা এর প্রবেশন অফিসার জনাব নূরুল আমিন কে স্থানীয় শিশুবান্ধব পুলিশ অফিসার অবহিত করলে, তিনি প্রথমে শিশুটির পরিবার খোঁজেন। পরিবার না পেয়ে তিনি শিশুটির জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা তথা আশ্রয় এর জন্য কোর্টের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত ঢাকাস্থ ছোটমণি নিবাসে প্রেরণ করেন।
ছোটমণি নিবাসে প্রতিবন্ধি শিশুর জন্য বিশেষায়িত সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা না থাকায় শিশুটিকে পুনরায় কুমিল্লা প্রবেশন অফিসার এর নিকট ফেরত পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে যে পরিবারে শিশুটি আশ্রয় পেয়েছিলো প্রবেশন অফিসার সেখানে শিশুটিকে অন্তবর্তিকালীন লালন পালনের জন্য রাখেন। প্রবেশন অফিসার শিশুটির সর্বোত্তম স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে পুনরায় যোগাযোগ শুরু করেন, সবাই শিশুটিকে গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।
এ দিকে শিশুটি সাময়িক ভাবে যে পরিবারে ছিলো তারা ছিলো খুবই দরিদ্র, শিশুটিকে তারা ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে। শিশুটির সুরক্ষায় রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবেশন অফিসার অবশেষে সমাজসেবা অধিদফতর এর মহাপরিচালক (ডিজি) জনাব গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয় এর সরণাপন্ন হউন। ডিজি মহোদয়ের তাৎক্ষণিক নির্দেশ মোতাবেক প্রবেশন অফিসার গত ২৬ ডিসেম্বর সমাজসেবার, চাইল্ড হেল্পলাইন-১০৯৮ এ ফোন করে শিশুটির নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সহযোগীতা চান।
হেল্পলাইন শিশুটির যাবতীয় তথ্য গ্রহণ করার পর, Resource Directory থেকে বিভিন্ন সেবাদান প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে। অবশেষে ২৯ ডিসেম্বর 2016 তারিখ পরিত্যক্ত শিশু নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মাদার তেরেসা’র উপপরিচালক শিশুটিকে গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৬ জানুয়ারী ২০১৭ আদালতের আইনী প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত শিশুটিকে মাদার তেরেসা (বেসরকারী সংস্থার) নিকট প্রেরণ করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
১৭ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে শিশুটিকে সরাসরি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা হয়। শহর সমাজসেবা কার্যালয়-৩, ঢাকার তত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুকে মিশনারীজ অফ চ্যারিটি মাদার তেরেসা, ২৬ ইসলামপুর রোড, ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়। শিশুটির নাম রাখা হয় খাদিজা। বর্তমানে শিশুকে মিশনারীজ অফ চ্যারিটি মাদার তেরেসায় সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে।
কেস স্টাডি-৩: বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ
শিশু নাসিমা আক্তার (১৫), বাবা আরমান হোসেন, মা মরিয়ম বেগম, ঢাকা সিটি করপরেশন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারী থানাধীন ২৮/২, কেএম দাশ লেন ঢাকা-১২০৩ এর হরদহ গ্লাস ফ্যাক্টরীর ৪ নং কোয়ার্টারে বসবাস করেন। সে টিকাটুলী শহীদ নবী উচ্চ বিদ্যালয় এ বানিজ্য শাখায় নিউ টেনে পড়ে। তার ক্লাস রোল-৪, শিশুটির ১ম সাময়িক পরীক্ষা চলছে এমতাবস্থায় তাকে তার মা বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।
২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখ দুপুর ১২:৪৬টা ওয়ার্ড ভিশনের কর্মী মেঘলা বাংলাদেশ চাইল্ড হেল্প লাইন-১০৯৮ এ ফোন করে জানান তার ছোট বোনের বান্ধবী নাসিমা আক্তারের আজকে সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ, কাল বিয়ে। তার মা ভাল ছেলে পেয়েছে তাই শিশুর বাবার অনুমতি ছাড়া মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন। কলার বাল্য বিয়েটি বন্ধের জন্য ১০৯৮ এর সহযোগীতা চান।
তাৎক্ষণিক ভাবে শিশুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক এর সাথে শিশুর বিয়ের বিষয়ে কথা বলা হয়। সহকারী শিক্ষক তথ্য দেন যে শিশুটিকে তার ফুফুর বাসা সৃত্রাপুরের লক্ষী বাজারে নিয়ে বিয়ে দিচ্ছেন।
পরবর্তীতে ঢাকা জেলার শহর সমাজসেবা অফিস-১, এর সমাজসেবা অফিসার জনাব নুরুল ইসলাম ও ওয়ারী থানার ওসি কে শিশুর বিয়ে বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য দেওয়া হয়।
সমাজসেবা অফিসার নুরুল ইসলাম ও থানার সহযোগীতায় শিশু প্রিয়ার যেখানে বিয়ের আয়োজন করেছেন সেই এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শিশুর বাবাকে বিয়ের ক্ষতিকারক দিক তথা আইনি বিষয়গুলি অবহিত করেন। শিশুর বাবা মা পরিশেষে বুঝতে পেরে এ মর্মে লিখিত দেন যে, শিশুর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে , তার পূর্বে কোন প্রকার বিয়ের ভাবনা নয়। শিশুটির পড়ালেখার ক্ষেত্রে কোন সহায়তার প্রয়োজন হলে অভিবাবককে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে সমাজসেবা অফিসার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। এভাবেই বন্ধ হয় নাসিমা আক্তার এর বিয়ে। বর্তমানে সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে।
বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ
চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) প্রকল্প
সমাজসেবা অধিদফতর (অষ্টম তলা)
ই-৮/বি-১, আগারগাঁও, ঢাকা
ফোন: ৫৮১৫৩৫৩৫, ৫৮১৫২৮৪২
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
322fe457-dce2-4aeb-908e-2089a028c245 | গাজীপুর জেলার টঙ্গীর দত্তপাড়াস্থ বাস্তুহারা পুনর্বাসন এলাকায় বসবাসকারী গৃহহীন ও ভূমিহীন বেকারদের বৃত্তিÍমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জন দুস্থ ও বেকার মহিলাকে সংগঠিত করে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনশীল ও কর্মোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কেন্দ্রটি কাজ করে যাচ্ছে। টঙ্গী শিল্পাঞ্চল হওয়ায় দুস্থ মহিলাদের তাঁত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রটিতে হস্তচালিত তাঁত স্থাপন করে মহিলাদের তাঁত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সংখ্যা ৬২৩।
গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির (অতিরিক্ত সচিব) ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ মহাপরিচালক হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করেন। বিস্তারিত |
5cb1b73d-eb10-44b1-9035-1e30ec29a330 | মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমান সরকারের সময়ে সাফল্যজনক কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ধানমন্ডিস্থ রাপা প্লাজার ৪র্থ ও ৫ম তলায় স্থাপিত ‘জয়িতা’বিপণন কেন্দ্র । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত ১৬-১১-২০১১ তারিখ হোটেল রূপসী বাংলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জয়িতার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং জয়িতার লগো উন্মোচন করেন।
পটভুমিঃ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে ১৬০০০ এর অধিক নিবন্ধিত স্বেচছাসেবী মহিলা সমিতি রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের এ সকল সমিতির সদস্যদের মধ্যে অসংখ্য ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। পর্যাপ্ত ও অনুকুল নারী বান্ধব অবকাঠামো না থাকার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাতকরণে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারতেন না। এ সমসত্ম নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের পন্য বা সেবা বিপণনে যথেষ্ট অভিজ্ঞ নন। ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাদেরকে তাদের উৎপাদিত পন্য বা সেবা বাজারজাতকরনের জন্য মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে নারী উদ্যোক্তারা পূর্ণাঙ্গ সুফল ভোগ করতে পারতেন না এবং উদ্যোগগুলি টেকসই হত না।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে জয়িতার মাধ্যমে একটি নারী উদ্যোক্তা বান্ধব আলাদা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে সারা দেশ ব্যাপী গড়ে তোলার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। এতে করে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গতি সঞ্চারিত হবে; নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; নারী ও পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাবে। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পর্যায়ক্রমে দেশের দারিদ্র বিমোচন হবে।
পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাঃ জয়িতা বিপণি কেন্দ্রের একটি সাধারণ পর্ষদ রয়েরছ। এককালীন অফেরতযোগ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা জমা দিয়ে নিবন্ধনকৃত স্বেচছাসেবী মহিলা সমিতি সাধারণ পর্ষদের সদস্য হবেন। পর্ষদ জয়িতার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন কৌশলের সাথে সংগতিপূর্ন একটি পূর্নাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। ন্যূনতম বছরে দুইবার সাধারণ পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ পর্ষদ বাৎসরিক কর্ম পরিকল্পনা, বাজেট অনুমোদন করবে এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে। সাধারণ পর্ষদের ২/৩ অংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে নীতিমালায় যে কোন মৌলিক পরিবর্তন/পরিবর্ধন/ পরিমার্জন করা যাবে।
জয়িতা বিপণি কেন্দ্রের নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। তনমধ্যে ছয় জন সদস্য সাধারণ পর্ষদের সদস্যদের ভোটে এক বছরের জন্য নির্বাচিত। অবশিষ্ট তিন জন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য যথা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িতেব নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, উক্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অফিসিয়াল সদস্য হিসেবে সংযুক্ত হবেন। এই তিনজন আরবিট্রেটরী হিসেবেও দায়িতব পালন করবেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপার্সন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ভাইস-চেয়ারপার্সন ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিচালনাপর্ষদের সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গতিশীলতার সাথে জয়িতা পরিচালনার জন্য একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৪জন পরামর্শক সমন্বয়ে একটি নির্বাহী পর্ষদ রয়েছে। তারা জয়িতার বিপণি কেন্দ্রের সার্বিক পরিচালনায় দৈনন্দিন নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন। Cheif Executive Officer (CEO) ও ৪ জন পরামর্শকগণের দায়িতব জয়িতার Brand Image গড়ে তোলা ও Profit Maximization করা।
Corporate culture অনুসারে বিপণি কেন্দ্র পরিচালিত হবে। পণ্যের গুনগত ও নান্দনিক মান নিয়ন্ত্রণ, সাশ্রয়ী মূল্য, গ্রাহক সেবা ইত্যাদির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বদান করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করাই জয়িতা-র মূল লক্ষ্য।
অবকাঠামোগত অবস্থাঃ নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ধানমন্ডিস্থ রাপা প্লাজার ৪র্থ ও ৫ম তলায় স্থাপিত ‘জয়িতা’ বিপণন কেন্দ্রে ১৩৯টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে যা ১৮০টি সমিতির মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৩৯টি ষ্টলের মধ্যে ১০টি দেশীয় খাবার স্টল, ৬টি কৃষি পণ্য ও ১২৩টি হস্তশিল্পজাত পণ্যের স্টল রয়েছে। ৫ম তলায় একটি বিনোদনের জন্য একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ রয়েছে। যেখানে দেশীয় ও ঋতু ভিত্তিক পালা পার্বন এবং সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । ৫ম তলায় শিশুদের জন্য একটি চিলড্রেন কর্ণার রয়েছে। ৫ম তলায় জয়িতার একটি প্রশাসনিক অফিস ও সভা কক্ষ রয়েছে। উদ্যোক্তা এবং সেলস্ গার্লদের জন্য নামাজের স্থান রয়েছে।
বাণিজ্যিক লিংকেজঃ পণ্য যোগানের ক্ষেত্রে তৃণমূল পার্যায়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত সমিতি মহিলারাও ধীরে ধীরে জয়িতার সাথে সম্পৃক্ত হচেছন। বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারণে একজন মার্কেটিং কনসালট্যান্ট কাজ করছেন। প্রচার ও ব্র্যান্ড-ইমেজ গড়ে তুলতে একজন কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদেরকে আধুনিক ফ্যাশন ও ডিজাইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণদানের জন্য একজন ডিজাইন কনসালট্যান্ট রয়েছেন। আইটির মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রবেশ ও প্রচার বং জয়িতা-র ব্র্যান্ড-ইমেজ গড়ে তোলা হবে। জয়িতা-র একটি ওয়েভ সাইট (www.joyeeta.com.bd) রয়েছে।
কর্মসূচির মেয়াদ ও বরাদ্দঃ নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচি তথায় জয়িতার বাস্তবায়নকাল ফেব্রুয়ারি-২০১১ জুন-২০১৩ পর্যন্ত । জয়িতা বাস্তবায়নে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান ৭০৫.৭০ লক্ষ টাকা।
প্রত্যাশাঃ ১৬/১১/২০১১ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের পর থেকে জয়িতার কার্যক্রম আশাব্যঞ্জক । আশা করা যায় দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরনের লক্ষ্যে একটি নারী উদ্যোক্তা বান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলতে জয়িতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা ও আর্থিক সহায়তার জন্য IFIC ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
বদরুন নেছা
মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব)
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
দুদক স্থাপিত হটলাইন নম্বর
১০৬ |
6323f1d8-3305-4990-bfae-c8b21f5faa81 | জেন্ডার সংবেদনশীল ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে যে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নেতৃত্বে “Alliance to Combat Trafficking in Women and Children (ACTWC))” নামে একটি জোট গঠন করা হয়েছে।
• কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী রোধে মহামান্য আদালতের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন এর আলোকে অত্র অধিদপ্তরে একটি Complaint কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নীচ তলায় একটি অভিযোগ বাক্স রাখা হয়েছে। অভিযোগকারী মৌখিক ও টেলিফোনে কিংবা লিখিত অভিযোগ প্রদান করতে পারবে। পরিবীক্ষন, সমন্বয় ও সচেতনতা সৃষ্টি শাখার মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গঠিত কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মস্থেলে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে গাইড লাইন সকলকে অবহিত করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
• খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অধীনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সি.ডি.এম.পি-২- প্রকল্পের এর সহায়তায় বিভিন্ন দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসাবে বিভাগ ওয়ারী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি কন্টিজেন্সি ওর্য়াক প্লান তৈরী করা হয়েছে।
• যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় সমূহে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও যৌতুক প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয় তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• তামাক ও ধোয়াঁবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনের প্রবনতা নারীদের মধ্যে বেশী দেখা যায় । তৃনমূলে হতদরিদ্র মহিলাদের সচেতনতা করার লক্ষ্যে নারী গ্রস্থ প্রবর্তনা এর সহায়তায় ৩০ জন জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
• পারিবারিক সহিংসতা ঃ বাংলাদেশ আইনজীবি সমিতির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতা ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । দুটি ব্যাচে ৩০ জন জেলা/ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে । উল্লেখ্য যে মাঠ পর্যায়ে জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
• ‘‘Climate hange Induced Gender Concerns and Way Forward’’ শীর্ষক দিন ব্যাপী একটি কর্মশালা বিগত ১২ এপ্রিল ২০১২ আয়োজন করেছে। কর্মশালার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জন্য একটি দুর্যোগের ঝুকি প্রশমন কর্মপরিকল্পনা (Disaster Risk Reduction Action Plan) ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জেন্ডার সংবেদনশীল অভিঘাত সমূহ চিহ্নিত করণ ও করণীয় ভিত্তিক একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে।
• বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন (BCCP) কর্তৃক ্আয়োজিত HIV/AIDS বিষয়টিকে মূলস্রোতধারায় আনয়নের লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির সংগে সম্পৃক্ত এনজিও এবং মাঠ পর্যায়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ট্রেড প্রশিক্ষকদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
“ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক কর্মসূচির জুলাই ২০১২ হতে জুন ২০১৩ পর্যন্ত প্রতিবেদন।
কর্মসূচির নাম : ‘‘ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’’ ।
বাস্তবায়নকাল : জুলাই ২০১১ - জুন ২০১৪ ।
কর্মসূচির মোট ব্যয় : ৮৮৬.৩০ লক্ষ টাকা ।
কর্ম এলাকাঃ ০৭টি বিভাগের ০৭টি জেলার (গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ) প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন তথা ৩৭৯টি ইউনিয়ন এ ৩৭৯টি কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মসূচির উদ্দেশ্যঃ কিশোর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবন মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী পুরুষ বৈষম্যহীন ও পার¯পরিক সুরক্ষামূলক সমাজ গঠনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও কিশোর কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিঁ গড়ে তোলা।
কর্মসূচির লক্ষ্য : পরিবার ও সমাজের সহায়ক পরিবেশে কিশোর কিশোরীদের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করা।
কর্মসূচির আওতায় ক্লাবের কার্যক্রমঃ কিশোর কিশোরী ক্লাবে নিম্নলিখিত কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ঃ
ক) বিভিন্ন খেলাধূলা (ক্যারাম, সাধারণ লুডু, বিশ্বভ্রমণ লুডু, দাবা, বাগাডুলি, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি)
খ) বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ( নাচ, গান, আবৃতি ও অভিনয় ইত্যাদি)
গ) বই লেনদেন ও বই পড়া
ঘ) পত্র-পত্রিকা পড়া
ঙ) সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রম
চ) বিভিন্ন দিবস উদ্যাপন (এইডস দিবস, শিশু দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, নারী দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ইত্যাদি)।
ছ) বিভিন্ন বিষয়ে জীবন দক্ষতা মূলক শিক্ষা (বাল্য বিবাহ, যৌতুক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, জেন্ডার, তালাক, বয়সসন্ধি, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, দূর্যোগ, এইচ আইভি এইডস ইত্যাদি)।
ক্লাবের সদস্যঃ প্রতিটি ক্লাবে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। তম্মধ্যে ১০ জন কিশোর ২০ জন কিশোরী। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছর। প্রতি ক্লাবে ০১ জন কিশোর ও ০১ জন কিশোরী পিয়ার লিডার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তারা ক্লাবের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ০৭টি জেলার ৩৭৯টি ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যা ১১,৩৭০ জন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দিবস/অনুষ্ঠান/কর্মশালা :
নারী উন্নয়নে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে নারী ইস্যুভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তৃণমূল পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে এবং সদর কার্যালয়সহ ৬৪টি জেলা এবং জেলাধীন উপজেলা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মহিলা সহায়তা কর্মসূচি সমূহে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ উদ্যাপন করা হয়। তন্মধ্যে: বেগম রোকেয়া দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান মে দিবস, ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ও বিজয় দিবস উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস:
১৯৯৩ সাল হতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশ একাত্মতা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, মূল্যবোধ ও প্রচলিত রীতি নীতির কারণে বাংলাদেশের ৪৭ ভাগ মহিলা কোন না কোনভাবে পুরুষ কর্তৃক বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে নারীর প্রতি অসমতা, অমর্যাদা, শোষন, সামাজিক রীতিনীতি, অশিক্ষা ও অর্থকরী উন্নয়নে সুযোগ হীনতার অভাব প্রতিনিয়ত নারীর উন্নয়ন স্র্ােতধারাকে ব্যহত করছে। এসব কারণে নারী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। সামাজিক সম্পদ সংরক্ষণে অসম অবস্থানই মূলতঃ নারীর প্রতি শোষণ ও নির্যাতনকে অধিকতর বৃদ্ধি করছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিভিন্ন আইন রয়েছে এখনও নারী নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নারী হত্যা, নারী ও কন্যা শিশু অপহরণ ও পাচার, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন হয়রানী ও অন্যান্য নারী নির্যাতনমূলক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও ফতোয়ার নামে বিচার বহির্ভূত শাস্তি প্রদানের ঘটনা ঘটছে। যা কখনও পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর নয়। নারী উন্নয়নের অংশ । দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত সহ টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রেই নারীর বর্র্ধিত অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে ১৫ দিন ব্যাপি (২৫ নভেম্বর থেকে-১০ ডিসেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সকল পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাপক গণজাগরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। নারী শুধু নারী নয়। নারীও মানুষ। মানুষ হিসেবে নারী যেন সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে, উন্নয়নের অংশ হিসেবে নারী যেন তার ভূমিকা পালন করতে পারে, এ উদ্দেশ্যেই দেশব্যাপি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ৬৪ জেলা ৪১৩ টি উপজেলায় এবং প্রধান কার্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী র্যালী,মানববন্ধন,সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান,পোষ্টার/ব্যানার ফেষ্টুন প্রর্দশন করা হয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী সমাজের অধিাকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অনন্য দিন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যথাযথ মার্যাদার সাথে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় সহ বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ৪১৯ টি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন, র্যা লী, আলোচনা সভা, সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
‘মা’ দিবস:
পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র আর মধুর শব্দটি ‘মা’। হৃদয়ের গভীরে সদা জাগ্রত প্রাণ মাকে নিয়ে মা দিবস উদযাপদ উপলক্ষে ১৮ মে শুক্রবার বিকেল ৩.০০ টায় ৩৭/৩ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতানুগতিকতার বাইরে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পড়ন্ত বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব তারিক-উল-ইসলাম। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জনাব মোঃ আশরাফ হোসেন, পরিচালক জনাব কামাল উদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৪৫ জন দম্পতি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একজন নারী প্রফেশনাল হিসেবে তাঁর অফিস এবং হাউজ কিপার হিসেবে তাঁর পরিবার কিভাবে পরিচালানা করছেন তার প্রতিদিনের কথার আলোকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।
অনেক গৃহিণী মা আছেন, অথনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল মা আছেন তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তাঁর পরিবার এবং সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মা’র এই কাজকে সহজ করার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেন্ডার সংবেদনশীল কি ভূমিকা হতে পারে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
আমরা মা’কে বাঙ্গালীর আদি ‘মা’ রুপে দেখতে চাই। সেই মা’র পথ চলাকে জেন্ডার সংবেদনশীল করতে চাই। তাঁর Work লোড কমাতে চাই। সর্বোপরি Women frindly Socity প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ কারার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। সঞ্চালক জেন্ডার বিশেষজ্ঞ নিলুফার করিম এর সঞ্চালনে দম্পতিদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ পর্ব পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও র্যা ফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আমন্ত্রিত দম্পতিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মা ও শিশু স্বাস্থ উন্নয়নে, দারিদ্র বিমোচনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দরিদ্র মা ও শিশুদের স্বাস্থ পুষ্টির জন্য দেশব্যাপি ইউনিয়ন পর্যায়ে মাতৃত্বকাল ভাতা, শহর অঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা প্রদান, কর্মজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, কর্মজীবী মহিলা হোষ্টেল, মহিলা ও শিশুদের জন্য মেটাবলিক ও ডায়বেটিক হাসপাতাল,কার্ডিয়াক হাসপাতাল,হতদরিদ্র নারীদের জন্য দেশব্যাপি খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বদরুন নেছা
মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব)
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
দুদক স্থাপিত হটলাইন নম্বর
১০৬ |
5280ef0f-63cf-4d18-97f3-94f2e33d9b06 | জেন্ডার সংবেদনশীল ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে যে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নেতৃত্বে “Alliance to Combat Trafficking in Women and Children (ACTWC))” নামে একটি জোট গঠন করা হয়েছে।
• কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী রোধে মহামান্য আদালতের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন এর আলোকে অত্র অধিদপ্তরে একটি Complaint কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নীচ তলায় একটি অভিযোগ বাক্স রাখা হয়েছে। অভিযোগকারী মৌখিক ও টেলিফোনে কিংবা লিখিত অভিযোগ প্রদান করতে পারবে। পরিবীক্ষন, সমন্বয় ও সচেতনতা সৃষ্টি শাখার মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গঠিত কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মস্থেলে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে গাইড লাইন সকলকে অবহিত করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
• খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অধীনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সি.ডি.এম.পি-২- প্রকল্পের এর সহায়তায় বিভিন্ন দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসাবে বিভাগ ওয়ারী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি কন্টিজেন্সি ওর্য়াক প্লান তৈরী করা হয়েছে।
• যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় সমূহে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও যৌতুক প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয় তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• তামাক ও ধোয়াঁবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনের প্রবনতা নারীদের মধ্যে বেশী দেখা যায় । তৃনমূলে হতদরিদ্র মহিলাদের সচেতনতা করার লক্ষ্যে নারী গ্রস্থ প্রবর্তনা এর সহায়তায় ৩০ জন জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
• পারিবারিক সহিংসতা ঃ বাংলাদেশ আইনজীবি সমিতির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতা ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । দুটি ব্যাচে ৩০ জন জেলা/ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে । উল্লেখ্য যে মাঠ পর্যায়ে জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
• ‘‘Climate hange Induced Gender Concerns and Way Forward’’ শীর্ষক দিন ব্যাপী একটি কর্মশালা বিগত ১২ এপ্রিল ২০১২ আয়োজন করেছে। কর্মশালার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জন্য একটি দুর্যোগের ঝুকি প্রশমন কর্মপরিকল্পনা (Disaster Risk Reduction Action Plan) ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জেন্ডার সংবেদনশীল অভিঘাত সমূহ চিহ্নিত করণ ও করণীয় ভিত্তিক একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে।
• বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন (BCCP) কর্তৃক ্আয়োজিত HIV/AIDS বিষয়টিকে মূলস্রোতধারায় আনয়নের লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির সংগে সম্পৃক্ত এনজিও এবং মাঠ পর্যায়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ট্রেড প্রশিক্ষকদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
“ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক কর্মসূচির জুলাই ২০১২ হতে জুন ২০১৩ পর্যন্ত প্রতিবেদন।
কর্মসূচির নাম : ‘‘ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’’ ।
বাস্তবায়নকাল : জুলাই ২০১১ - জুন ২০১৪ ।
কর্মসূচির মোট ব্যয় : ৮৮৬.৩০ লক্ষ টাকা ।
কর্ম এলাকাঃ ০৭টি বিভাগের ০৭টি জেলার (গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ) প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন তথা ৩৭৯টি ইউনিয়ন এ ৩৭৯টি কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মসূচির উদ্দেশ্যঃ কিশোর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবন মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী পুরুষ বৈষম্যহীন ও পার¯পরিক সুরক্ষামূলক সমাজ গঠনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও কিশোর কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিঁ গড়ে তোলা।
কর্মসূচির লক্ষ্য : পরিবার ও সমাজের সহায়ক পরিবেশে কিশোর কিশোরীদের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করা।
কর্মসূচির আওতায় ক্লাবের কার্যক্রমঃ কিশোর কিশোরী ক্লাবে নিম্নলিখিত কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ঃ
ক) বিভিন্ন খেলাধূলা (ক্যারাম, সাধারণ লুডু, বিশ্বভ্রমণ লুডু, দাবা, বাগাডুলি, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি)
খ) বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ( নাচ, গান, আবৃতি ও অভিনয় ইত্যাদি)
গ) বই লেনদেন ও বই পড়া
ঘ) পত্র-পত্রিকা পড়া
ঙ) সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রম
চ) বিভিন্ন দিবস উদ্যাপন (এইডস দিবস, শিশু দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, নারী দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ইত্যাদি)।
ছ) বিভিন্ন বিষয়ে জীবন দক্ষতা মূলক শিক্ষা (বাল্য বিবাহ, যৌতুক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, জেন্ডার, তালাক, বয়সসন্ধি, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, দূর্যোগ, এইচ আইভি এইডস ইত্যাদি)।
ক্লাবের সদস্যঃ প্রতিটি ক্লাবে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। তম্মধ্যে ১০ জন কিশোর ২০ জন কিশোরী। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছর। প্রতি ক্লাবে ০১ জন কিশোর ও ০১ জন কিশোরী পিয়ার লিডার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তারা ক্লাবের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ০৭টি জেলার ৩৭৯টি ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যা ১১,৩৭০ জন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দিবস/অনুষ্ঠান/কর্মশালা :
নারী উন্নয়নে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে নারী ইস্যুভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তৃণমূল পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে এবং সদর কার্যালয়সহ ৬৪টি জেলা এবং জেলাধীন উপজেলা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মহিলা সহায়তা কর্মসূচি সমূহে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ উদ্যাপন করা হয়। তন্মধ্যে: বেগম রোকেয়া দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান মে দিবস, ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ও বিজয় দিবস উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস:
১৯৯৩ সাল হতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশ একাত্মতা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, মূল্যবোধ ও প্রচলিত রীতি নীতির কারণে বাংলাদেশের ৪৭ ভাগ মহিলা কোন না কোনভাবে পুরুষ কর্তৃক বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে নারীর প্রতি অসমতা, অমর্যাদা, শোষন, সামাজিক রীতিনীতি, অশিক্ষা ও অর্থকরী উন্নয়নে সুযোগ হীনতার অভাব প্রতিনিয়ত নারীর উন্নয়ন স্র্ােতধারাকে ব্যহত করছে। এসব কারণে নারী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। সামাজিক সম্পদ সংরক্ষণে অসম অবস্থানই মূলতঃ নারীর প্রতি শোষণ ও নির্যাতনকে অধিকতর বৃদ্ধি করছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিভিন্ন আইন রয়েছে এখনও নারী নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নারী হত্যা, নারী ও কন্যা শিশু অপহরণ ও পাচার, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন হয়রানী ও অন্যান্য নারী নির্যাতনমূলক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও ফতোয়ার নামে বিচার বহির্ভূত শাস্তি প্রদানের ঘটনা ঘটছে। যা কখনও পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর নয়। নারী উন্নয়নের অংশ । দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত সহ টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রেই নারীর বর্র্ধিত অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে ১৫ দিন ব্যাপি (২৫ নভেম্বর থেকে-১০ ডিসেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সকল পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাপক গণজাগরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। নারী শুধু নারী নয়। নারীও মানুষ। মানুষ হিসেবে নারী যেন সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে, উন্নয়নের অংশ হিসেবে নারী যেন তার ভূমিকা পালন করতে পারে, এ উদ্দেশ্যেই দেশব্যাপি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ৬৪ জেলা ৪১৩ টি উপজেলায় এবং প্রধান কার্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী র্যালী,মানববন্ধন,সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান,পোষ্টার/ব্যানার ফেষ্টুন প্রর্দশন করা হয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী সমাজের অধিাকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অনন্য দিন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যথাযথ মার্যাদার সাথে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় সহ বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ৪১৯ টি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন, র্যা লী, আলোচনা সভা, সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
‘মা’ দিবস:
পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র আর মধুর শব্দটি ‘মা’। হৃদয়ের গভীরে সদা জাগ্রত প্রাণ মাকে নিয়ে মা দিবস উদযাপদ উপলক্ষে ১৮ মে শুক্রবার বিকেল ৩.০০ টায় ৩৭/৩ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতানুগতিকতার বাইরে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পড়ন্ত বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব তারিক-উল-ইসলাম। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জনাব মোঃ আশরাফ হোসেন, পরিচালক জনাব কামাল উদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৪৫ জন দম্পতি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একজন নারী প্রফেশনাল হিসেবে তাঁর অফিস এবং হাউজ কিপার হিসেবে তাঁর পরিবার কিভাবে পরিচালানা করছেন তার প্রতিদিনের কথার আলোকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।
অনেক গৃহিণী মা আছেন, অথনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল মা আছেন তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তাঁর পরিবার এবং সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মা’র এই কাজকে সহজ করার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেন্ডার সংবেদনশীল কি ভূমিকা হতে পারে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
আমরা মা’কে বাঙ্গালীর আদি ‘মা’ রুপে দেখতে চাই। সেই মা’র পথ চলাকে জেন্ডার সংবেদনশীল করতে চাই। তাঁর Work লোড কমাতে চাই। সর্বোপরি Women frindly Socity প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ কারার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। সঞ্চালক জেন্ডার বিশেষজ্ঞ নিলুফার করিম এর সঞ্চালনে দম্পতিদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ পর্ব পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও র্যা ফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আমন্ত্রিত দম্পতিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মা ও শিশু স্বাস্থ উন্নয়নে, দারিদ্র বিমোচনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দরিদ্র মা ও শিশুদের স্বাস্থ পুষ্টির জন্য দেশব্যাপি ইউনিয়ন পর্যায়ে মাতৃত্বকাল ভাতা, শহর অঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা প্রদান, কর্মজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, কর্মজীবী মহিলা হোষ্টেল, মহিলা ও শিশুদের জন্য মেটাবলিক ও ডায়বেটিক হাসপাতাল,কার্ডিয়াক হাসপাতাল,হতদরিদ্র নারীদের জন্য দেশব্যাপি খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বদরুন নেছা
মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব)
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর
দুদক স্থাপিত হটলাইন নম্বর
১০৬ |
13a312a6-0162-4c35-88e5-9bf4b2772451 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কিছু কোম্পানি ক্যাটাগরি ধরে রাখতে নামমাত্রা ডিভিডেন্ড দিচ্ছেন। আর বঞ্চিত হচ্ছেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারা। কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার মাধ্যমে লোকসান কাটানোর প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের। বছর শেষে ভাল মুনাফা করলেও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মতো লভ্যাংশ ঘোষণা না দেয়ার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে।
একাধিক বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, লভ্যাংশ দেয়ার নাম করে ক্যাটাগরি টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে কোম্পানিগুলো। যার কারণে রিজার্ভ বাড়ানোর নাম করে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ কম ঘোষণা করছে। এটা এক ধরনের প্রতারনা বলে তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে সম্প্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করা বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। লভ্যাংশ প্রস্তাবের দিনই এসব শেয়ারের দর কমতে দেখা গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সম্প্রতি ৯টি কোম্পানি ২০১৫ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এই কোম্পানিগুলো হচ্ছে- পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনসিসি ব্যাংক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুটওয়্যার ও কেডিএস এক্সেসরিজ। কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেডিএস এক্সেসরিজ এবং এপেক্স ফুটওয়্যার ছাড়া লভ্যাংশ প্রস্তাবের দিন বাকি সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে।
এই বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, কোম্পানি তার অবস্থা বিবেচনা করে লভ্যাংশ দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যদি বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে একটু বাড়িয়ে লভ্যাংশ দেন, তবে তারা উপকৃত হবে।
কারণ বিনিয়োগকারীদের অবস্থা এখন খুবই করুণ। প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি যদি ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হয় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। অন্যদিকে বছর শেষে ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিলে সেই কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরির স্বীকৃতি পায়। আর যদি কোন লভ্যাংশ না দেয় তবে সে কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরি বিবেচিত হয়।
জানা গেছে, কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকে প্রথম এজিএম পর্যন্ত ‘এন’ ক্যাটাগরিতে থাকে। প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে বি এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। যে কারণে কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে লভ্যাংশ দিয়ে ক্যাটাগরি বাঁচিয়ে রাখতে চায়। |
8dc85c0a-e18c-4a63-bec9-205fe54c2ab9 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আইপিও ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিএসইসি ও বিআইসিএম শাখা থেকে ২৯ মার্চ উপ সচিব মো: মতিউর রহমানের স্বাক্ষর করা এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানতে পেরেছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, শেয়ার কারসাজির ঘটনায় সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পাওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে তদন্ত কেন এগোয়নি তার জন্য মন্তব্য চাওয়া হয়েছে বিএসইর কাছে।এছাড়া জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেনো তার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ও ৭ ফেব্রুয়ারি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপর মন্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত ৬টি বিষয়ের উপর বিএসইসি’র কাছে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিষয়গুলো হল:- সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে নতুন যে সব কোম্পানি তালিকাভূক্ত হয়েছে, কিছু দিন যেতে না যেতেই অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম আইপিওর দামের চেয়ে নিচে নেমে গেছে অর্থাৎ অফার মূল্যের নিচে নেমে গেছে, ফলে এসব কোম্পানির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১০ সালের পর ৭০ টির বেশি কোম্পানি/মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ার বাজারে এলেও আস্থাহীনতার কারণে বাজারের উন্নতি হয়নি। ফলে ৫ ডিসেম্বর যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সেখানে ২০১৫ সালে দৈনিক গড় লেনদেন ৪২২ কোটি টাকা।
স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন ইত্যাদি কাঠামো ও আইনগত পরিবর্তন হয়েছে। তবে মানহীন কিছু কোম্পানির শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্তি এবং কারসাজি ও আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নমনীয়তার কারণে সংস্থাটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের পরিপূর্ন আস্থা ফেরেনি।
সিভিও প্রেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় বিডিবিএল ও সিভিওর চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও তদন্ত এগোয়নি। জেএমআই সিরিঞ্জেস কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনার নেপথ্যের কারও বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অলটেক্স কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করে কারসাজি হলেও এখনও কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরোক্ত বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। |
17e16ba9-9318-43ff-a72f-51fadadb266e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও সিরামিকস খাতের কোম্পানি করবে আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেডের (এজিএম) আজ সকালে শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড: বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের তারাবতে অবস্থিত কারখানা প্রাঙ্গণে সিমেন্ট কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ছিল ২১ মার্চ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
গত বছর তারা নিট ১৪০ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুনাফা করেছে, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১০২ টাকা ২৭ পয়সা। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর ইপিএস ছিল ২০ টাকা ৮৮ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার সর্বশেষ ৫৪০ টাকা ৬০ পয়সায় হাইডেলবার্গের শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪৪০ থেকে ৬৮৫ টাকার মধ্যে ওঠনামা করে। অন্যদিকে আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড: রাজধানীর পূর্বাচল লিংক রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে সকাল ১০টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর নিট মুনাফা হয়েছে ১০৯ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ২৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৭ টাকা ৯৩ পয়সা।
২০১৪ সালের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় আরএকে সিরামিকস। সে বছর তাদের ইপিএস ছিল ১২ পয়সা, ২০১৩ সালে যা ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। ডিএসইতে মঙ্গলবার সর্বশেষ ৬৩ টাকা ৪০ পয়সায় আরএকে সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে এর দর ৪৬ থেকে ৮৩ টাকার মধ্যে ওঠনামা করে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আরএকে সিরামিকসের অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৩৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ৫২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার। |
c552f10f-ceb3-4e7d-9f92-bb1274e5e4fc | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে গত কয়েক মাস ধরেই জ্বালানী খাতের শেয়ারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে। গত দুই অর্থবছর ধরেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ( ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে ছিল জ্বালানী খাত। তবে এ কেন জ্বালানী খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এত আগ্রহ। এ নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের একটি টিম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করছে।
এর মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের প্রায় ২০ শতাংশই রয়েছে জ্বালানী খাতের দখলে। অপরদিকে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এ খাতের শেয়ারগুলো শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এক সময় জায়গাটি ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে পরিচিত এই ব্যাংক খাত এখন বেশ তলানিতে। ধারাবাহিকভাবে কমছে এ খাতের অবদান।
তাছাড়া সরকারের নীতি নির্ধারকসহ সব মহলে আন্তরিকতার ফলে গত সপ্তাহে বাজার কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাস ছিল। ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে নানামুখি তৎপরতা আর সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমান বাজারের পরিস্থিত উন্নয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা জ্বালানী খাতের শেয়ার বিনিয়োগ করছেন বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডিএসইর লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশই হয়েছে জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলো ঘিরে। এর আগের অর্থবছরেও (২০১৩-১৪) ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে ছিল এ খাত। সে সময় জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
কিন্তু কেন জ্বালানী খাত ঘিরে বিনিয়োগকারিদের এত আগ্রহ? প্রথমত, সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য জ্বালানি খাতকে খুবই প্রাধান্য দিচ্ছে। সরকারের নানা প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এ খাত ঘিরে।
বর্তমানে দেশে সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট খাত হলো জ্বালানি উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, এ খাতের কোম্পানিগুলো গত কয়েক বছর ধরেই ভালো ব্যবসা করছে। যার ফলে তারা বিনিয়োগকারিদের ভালো মুনাফাও দিচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজারেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি।
দ্বিতীয়ত, জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বশেষ হিসাব বছরে শুধু একটি কোম্পানি বাদে সব কোম্পানিই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে লিন্ডে বিডি ৩১০ শতাংশ, পদ্মা অয়েল ১০০ শতাংশ, যমুনা অয়েল ১০০ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস ৪০ শতাংশ, শাহজীবাজার পাওয়ার ৩১ শতাংশ, বারাকা পাওয়ার ১৬ শতাংশ, ডেসকো ১৫ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ৩০ শতাংশ, এমজেএলবিডি ৩০ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ার ১৫ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১০৫ শতাংশ, পাওয়ারগ্রীড ১৫ শতাংশ, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার ২৫ শতাংশ, সামিট পাওয়ার ১৮ শতাংশ, তিতাস গ্যাস ১৫ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ৩০ শতাংশ এবং বিডিওয়েল্ডিং ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাত হিসেবে একটি খাতের প্রায় সব কোম্পানি ভালো পরিমাণে মুনাফা করা এবং তা বিতরণ করা খুবই ভালো দিক। এজন্যই এ খাতের দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশী। শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য কোম্পানিগুলোর ভালো মুনাফা করা জরুরী। কারণ কোম্পানিগুলো ভালো মুনাফা করতে পারলে কোম্পানিগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। এতে বাজারও ইতিবাচক হবে।
ডিএসইর খাতভিত্তিক কোম্পানির তালিকা থেকে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ২২টি খাতে বিভক্ত। এর মধ্যে লেনদেন হয় ২০টি খাতের। এই ২০টি খাতে কোম্পানি আছে ৩৩০টি। ডিএসইর মাসভিত্তিক লেনদেনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট লেনদেনে প্রকৌশল, জ্বালানি, বস্ত্র ও ওষুধ খাতের অবদান ছিল ৫৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ দশমিক ৯০ শতাংশে। আর সদ্য সমাপ্ত মার্চে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ দশমিক ২২ শতাংশে।
বর্তমান বাজারে জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ১৮টি। মার্চে মোট লেনদেনে এ খাতের অংশ ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে লেনদেনে জ্বালানি খাতের অংশ ছিল ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে জ্বালানি খাতের লেনদেন কিছুটা কমেছে।
এদিকে এক সময় পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে বিবেচিত এবং লেনদেনের শীর্ষে থাকা ব্যাংক খাত চলে এসেছে ৬ষ্ঠ স্থানে। মার্চ মাস শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা ফেব্রুয়ারি শেষেও ছিল ৮ শতাংশের উপরে।
২০১২ সাল পর্যন্ত ব্যাংক খাত লেনদেনে প্রথম স্থান ধরে রাখে। সে সময় মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অবদান ২০ থেকে ২৫ শতাংশের উপরে ছিল। মূলত ২০১১ সালের পর থেকেই শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের অবদান কমতে থাকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফারুক আহমেদ শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সেই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করবে, যে খাত থেকে বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের যে লভ্যাংশ দিয়েছিল তা পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেনি। যে কারণে ব্যাংকের শেয়ারের লেনদেনে কিছুটা নেতিবাচাক প্রভাব পড়েছে।
জ্বালানি খাতের শেয়ারে অবদান বাড়ার কারণ হিসেবে এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক বলেন, এই খাতগুলো ভালো করছে। অন্য খাতের কোম্পানির থেকে এ খাত থেকে বিনিয়োগকারীরা বেশি মুনাফা পাচ্ছেন, যে কারণে এই খাতের কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।
একই বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বেশি মুনাফা পাবেন সাধারণত সে খাতেই বিনিয়োগ করবেন। |
ef57e926-48c2-4906-8f32-91da23936703 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের রোড-শো আজ সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর লেকসর হোটেলের ব্যানকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এটি আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের প্রথম রোড শো।
রোড শো অনুষ্ঠানে কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করবে আমরা নেটওয়াকর্ লিমিটেড। এ লক্ষ্যে আমরা নেটওয়ার্ক ভবিষ্যেত একটি গ্রেট প্রতিষ্ঠানে উন্নিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।
তিনি আরো বলেন, শুরুতে এ কোম্পানির অনেক অবকাঠামোগত সমস্যা থাকলেও তা সমাধান করে বতর্মানে একটি ভাল প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত প্রসারের কারণে এ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে। রোড-শো অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাচের্ন্ট ব্যাংক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সায়েদুর রহমান, লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট এর সিইও খন্দকার কায়েস আহসান।
এ বিষয় কোম্পানির সেক্রেটারি মো. এনামুল হক শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে ওয়াই-ফাই ডাটা সেন্টার ও হটস্পট সেটআপ করবে আমরা নেটওয়ার্ক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের অধীনে প্রিমিয়াম চাওয়া কোম্পানিগুলোকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। অবিহিত মূল্যে মূলধন উত্তোলন করতে চাইলে ফিক্সড প্রাইস মেথডে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যেমে মূলধন উত্তোলনের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে রোড-শো করে তথ্য প্রযুক্তি খাতের এ কোম্পানিটি। আমরা নেটওয়ার্কের মূল কোম্পানি আমরা টেকনোলজি ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লঙ্কাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
730f9876-ccd0-49cf-bd90-894019f36117 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগে সিকিউরিটিজ প্রমোশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এসপিএম) লিমিটেডের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার দিন আগামী ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিচারক হুমায়ুন কবীর (জেলা ও দায়রা জজ)।
১৯৯৮ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগে কোম্পানিসহ তিনজনকে আসামি করে ২০০৪ সালে মামলাটি দায়ের করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। মামলার আসামিরা হলেন, এসপিএমসহ প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান শেলী রহমান ও সৈয়দ মহিবুর রহমান। বর্তমানে তারা পলাতক।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত দিনে ট্রাইব্যুনালে মালাটির বাদীপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্যানেল আইনজীবী মো. মাসুদ রানা খান। যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে ৬ এপ্রিল বিএসইসির পক্ষ থেকে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) মামলাটির যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মো. মাসুদ রানা খান জানান, মামলাটিতে বিএসইসির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আগামী ২০ এপ্রিল রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আমি মনে করি, সমস্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তা প্রমাণ করতে পেরেছি।
মামলাটির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটির অস্বাভাবিক লেনদেন তদন্তে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্ত কমিটিতে খায়রুল আনাম খান ও শুভ্র কান্তি চৌধুরীকে সদস্য করা হয়। তবে খায়রুল আনাম খানের মৃত্যুর পর তার স্থানে ফরহাদ খানকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কাশেম সিল্ক মিলসের শেয়ার অস্বাভাবিক লেনদেন হয় বলে কমিটি তদন্তে দেখতে পায়। ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বরে ২০ লাখ শেয়ারের কোম্পানিটির ১ কোটি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০টি ১৬.১৪ শতাংশ বেশি দরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়। এই লেনদেন ও দরবৃদ্ধি ছিল অস্বাভাবিক।
১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর এসপিএম কাশেম সিল্কের ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার ক্রয় ও ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ১০০টি শেয়ার বিক্রি করে, যা কাশেম সিল্কের ওই দিনের শেয়ার লেনদেনের ৩৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। তদন্ত কমিটি দেখতে পায়, মো. মহিবুর রহমান ২৪.২৭ টাকা দরে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৩০০টি শেয়ার ক্রয় করেন ও ২৫.৯০ টাকা দরে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেন।
তিনি বেলা ১২টা থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে টানা ২২ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার কেনেন। এরপর কেনা ও বিক্রির মাধ্যমে আরও ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০টি শেয়ার কেনেন তিনি। শেয়ার ২১.৫০ টাকা দিয়ে কেনা শুরু করেন এবং সর্বোচ্চ ২৫.৯০ টাকা দরে শেয়ার কেনেন। এতে একই দিনে নিষ্পত্তি ব্যর্থতা এড়াতে বিক্রেতারা সৈয়দ মহিবুর রহমানের কাছ থেকে শেয়ার পুনঃক্রয় করতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে মহিবুর রহমান ডিক্টেটেড মূল্য ২৬ টাকা করে বিক্রি শুরু করেন এবং ২৫.৯০ টাকা দরে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেন। এর মাধ্যমে মহিবুর রহমান ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৯ টাকা ও বাকি থাকা ৯২ হাজার ৩০০ শেয়ার মুনাফা করেন।
মহিবুর রহমান প্রাথমিকভাবে ২৫ লাখ টাকা ডিপোজিট করেন, যা প্রকৃতপক্ষে শেলী রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তার স্বামী লুৎফর রহমান চেকের মাধ্যমে ডিপোজিট করেন, যা ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৩০০টি শেয়ার কেনায় ব্যবহার করা হয় না। মহিবুর রহমান এই শেয়ার কেনায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮০ টাকার রেমিট্যান্স ব্যবহার করেন। এখান থেকে তদন্ত কমিটি বুঝতে পারে যে, ডিপোজিটের টাকা অর্থায়ন করেন শেলী রহমান।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র ফুটে ওঠে, যা ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশের ১৭ ধারার (ই) (২) উপধারায় জালিয়াতি। আসামিরা পরস্পারিক যোগসাজশের মাধ্যমে এ অনিয়ম করেছেন, যা ১৭ ধারা লঙ্ঘন। ফলে ২৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। |
ca684e36-da1a-43f6-a7d2-8d4d556bf232 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বাংলাদেশ-এর শেয়ার কিনছে বিদেশী বিনিয়োগকারিরা। গত দুই বছরে কোম্পানিটির ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছে বিদেশী বিনিয়োগকারিরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( ডিএসই)-এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যেক্তা/পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ, সরকারের কাছে শূণ্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের কাছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারিদের কাছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারিদের কাছে কোন শেয়ার নেই।
কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছে বিদেশী বিনিয়োগকারিরা। তবে এ দুই বছরের ব্যবধানে সাধারণ বিনিয়োগকারিরা তাদের হাতে থাকা অধিকাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারিদের হাতে এখন রয়েছে কোম্পানিটির মাত্র শূণ্য দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার। অবশ্য এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের শেয়ারও কিছুটা কমেছে। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের হাতে রয়েছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বিএটিবিসি’র ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয় ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম মইনউদ্দিন। ২০১৫ সালের আর্থিক বিবরণী, পরিচালকবৃন্দের প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করেছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের জন্য শেয়ারপ্রতি ৫৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। |
1c824f3c-9ae8-4623-980e-f039b0104111 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, রংপুর ব্যুরো: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের রংপুর শাখার বিরুদ্ধে গ্রাহকের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের টাকা জমার রশিদ জালিয়াতি করে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের এক কর্মকর্তা ওয়ান ব্যাংকে খোলা একাউন্টে তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
জালিয়াতির পরও ওই কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গ্রাহকদের মাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে, রশিদ জালিয়াতি করার বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
গ্রাহকদের অভিযোগে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে রংপুরের প্রেসক্লাব এলাকার ইউনাইটেড ফাইন্যান্সে স্বপন কুমার সরকার, রেবা সরকার ও সুপ্ত জ্যোতি সরকার নামে সঞ্চয়ী হিসাব খোলে।
প্রতিমাসে প্রতিষ্ঠানটির ওয়ান ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে টাকা জমা দিতে না পারায় সুপ্ত জ্যোতি সরকারসহ অন্যদের টাকা ওয়ান ব্যাংকে জমা দেয়ার দায়িত্ব নেন ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের কর্মকর্তা অমিতাভ ঘোষ।
নির্দিষ্ট সময়ে ওই গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওয়ান ব্যাংকের নির্ধারিত জমা বইয়ে স্বাক্ষর ও সিল নকল করে টাকা জমা না দিয়েই তা আত্মসাৎ করেন অমিতাভ। সঞ্চয়ী হিসেবের খোঁজ নিতে চলতি মাসে প্রতিষ্ঠাটিতে যান গ্রাহকরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়- কোনো টাকাই জমা হয়নি তাদের হিসেবে।
ইউনাটেড ফাইন্যান্স থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তবে অমিতাভের চাকরি ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি গ্রাহকদের অবগত করার কথা থাকলেও ইউনাটেড ফাইন্যান্স খেকে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নভেম্বরে হিসাব খোলা হলেও পরবর্তী সময়ে কোনো টাকাই জমা হয়নি গ্রাহকদের। ওই তিন গ্রাহকের প্রায় লক্ষাধিক টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়েছে
এ বিষয়ে ইউনাটেড ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপক ইলিয়াছ জাবেদের কাছে জানতে চাইলে অমিতাভকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রথমে জানালেও পরে তা অস্বীকার করে জানান, অমিতাভ স্ব-ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
অমিতাভের চাকরি বরখাস্ত বা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি গ্রাহকদের জানানো হয়নি কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। গ্রাহকদের টাকা জমা হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি ওয়ান ব্যাংকে খোঁজ নিতে বলেন।
পরে জমার স্লিপ নিয়ে ওয়ান ব্যাংকে গেলে তা দেখে ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, ওয়ান ব্যাংকের জমার বইয়ে সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
ভুক্তভোগী সুপ্ত জ্যোতি সরকার জানান, বড় ধরনের ব্যাংক জালিয়াতি রোধে অমিতাভসহ ওই চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আরো গ্রাহকের টাকা লুট করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। |
913fdef0-9b58-4425-b00b-a5866865ec2e | মহসিন সুজন, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, বরিশাল ব্যুরো: পুঁজিবাজারে টালমাতাল পরিস্থিতিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বরিশালের বিনিয়োগকারীদের। তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চরম অস্থিরতায় ভুগছে। তাছাড়া দিন দিন মূল পুঁজি হারিয়ে সিকিউরিটিজ হাউজের কাছে দেনা গ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় থাকলেও তাদের সেই প্রত্যাশা কিছুতেই পূরণ হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ আর হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে এখানকার বিনিয়োগকারীদের মাঝে।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, আমরা আরো কত ধৈর্য্য ধারন করবো। দীর্ঘদিনের অস্থিতিশীলতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল বাজারের অপেক্ষায় থাকার পরও বাজারের কোনো উন্নতি না হওয়ায় এখন আমরা দিশেহারাই বলা যায়। পুঁজির বেশিরভাগ হারিয়ে নি:স্ব থেকে নি:স্ব হয়ে গেছে আমরা।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের নিয়ে রীতিমতো খেলায় মেতে উঠেছে কারসাজি চক্র। বিভিন্নভাবে তারা বাজারকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটছে আর বাজারকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু বাজার সংশ্লিষ্টরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যার সুযোগ প্রতিনিয়তই কারসাজি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাজার থেকে।
বাজার প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী জাকির হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার এখন মরণ বাজারে পরিণত হয়েছে। কারসাজি চক্রের কাছে রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। তাদের বিরুদ্ধে কখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ফলে তারা কারসাজিতে উৎসাহিত হচ্ছে এবং বাজারকে ধবংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারসাজিচক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন না করলে বাজার রক্ষা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।
বিনিয়োগকারী সুলতান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের নিয়ে রীতিমতো খেলা শুরু হয়েছে। জানিনা এই খেলার শেষ কোথায়। আমরা বিনিয়োগকারীরা মরে গেলে কি বাজার স্থিতিশীলের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে? নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ইচ্ছে করলে বাজার স্থিতিশীলতায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে কিন্তু তারা তা না করে উচ্চ প্রিমিয়ামযুক্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনে ব্যস্ত। তিনি আরো বলেন, বাজারের স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বিএসইসি বাজারের স্বার্থে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাজার রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মতে, পুঁজিবাজার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না। যার ফলে লেনদেন কমছে। এছাড়া বাজার আজ ভাল কাল খারাপ, এতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আরো আস্থার ফাটল ধরছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের এখন আস্থার ফাটল ধরছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না। এছাড়া মাচের্ন্ট ব্যাংকগুলো বাজার ভাল থাকা অবস্থায় কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করলেও এখন নিরব ভুমিকা পালন করছে। এ বিষয়টি সরকারের নীতি নির্ধারকদের দেখা উচিত। |
8429db11-68f3-4e52-a969-9e4dd6ac6a3b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল নয়। তাই নতুন বছরে বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন রাজনীতিক অস্থিরতার সময়ে আইসিবি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের কঠোর অবস্থানের কারণে নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা আরো বেড়েছে। যে কারণে নতুন পুঁজি হাতে অনেক বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশায় অপেক্ষমান। হাতে পুঁজি থাকলেও আবার অনেকে অস্থির পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না।
এছাড়া পুরনো ব্যথা ভুলে নতুন বছরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এই বছরটি তাদের জন্য ভালো যাবে এমন প্রত্যাশা ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর। সকলের প্রত্যাশা এই বছরটি হবে তাদের মুনাফার বছর। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বিনিয়োগকারীরা জানান, প্রতি বছরই আমরা স্বপ্নে বিভোর থাকি বাজার ভালো হবে এই ভেবে। কিন্তু প্রতি বছরই আমাদের সেই প্রত্যাশা বিবর্ণ স্বপ্নে পরিণত হয়। আশা করি এ বছরটি তেমন যাবে না।
একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে আমরা একটি ভালো পুঁজিবাজারের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরে আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সেই জন্য এখন স্বপ্ন দেখতেই ভয় পাই। তার পরও নতুন বছরের স্বপ্ন থাকবে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার। আশা করছি এবার আমাদের স্বপ্ন বিফলে যাবে না।
একই প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি পুঁজিবাজারের বাইরে ছিলাম। কারণ ২০১০ সালের ধসে পুঁজি হারিয়ে আমার অর্তনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তারপর ২০১৫ সালে নতুন কিছু পুঁজি নিয়ে আবার বাজারে ফিরে এসেছি। কিন্তু এবার বাজারে এসেও ভালো কিছু পাইনি।
লাভের বদলে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে। আশা করছি নতুন বছরটি হবে আমাদের লোকসান ঘোচানোর বছর। তাদের মতো একই প্রত্যাশা রয়েছে নারী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তারা নতুন বছরে নতুন স্বপ্নে জাল বুনছেন। করতে চাচ্ছেন কিছু বাড়তি ইনকাম।
জানতে চাইলে বিনিয়োগকারী ফাতেমা জাহান বলেন, এক সময় শুধমাত্র আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবজারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সেকেন্ডারি মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত হই। কিন্তু এই মার্কেটে এসে লাভের বদলে লোকসানই বেশি হয়েছে। পড়তে হয়েছে ধসের মুখে। মাজিন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে এসে সব চেয়ে সর্বনাশ হয়েছে আমার।
এখনো আমাকে ধসের বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তারপর ভালো হচ্ছে না বাজারের অবস্থা। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের অবস্থা আরো করুণ হবে। তাই আশা করব এই বছর যেন পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়। সেই জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন তারা বাজারের ওপর কড়া নজর রাখেন। |
c8d92f0a-19ec-4aaa-8017-ad0ea1230597 | আবু হোসাইন সুমন, মংলা: সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। ভারতের অংশে আছে ৭৬টি। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা বেশি থাকলেও বাঘের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ ক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দরবনের খুলনার অংশ। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথভাবে পরিচালিত বাঘ জরিপের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই যৌথ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন। সরকারের ওয়াইল্ড লাইফের (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) খুলনার বিভাগীয় কর্মকর্তা জাহিদুল কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জাহিদুল কবির জানান, ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ছয় হাজার ৭২৪ বর্গকিলোমিটার বনভূমিতে। এ জরিপ কাজে বাংলাদেশের ওয়াইল্ড লাইফকে সহায়তা করেছে ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট।
এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে প্রথম দফায় ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের মার্চ ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চলে এই জরিপকাজ। আর ভারত অংশের সুন্দরবনে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ সালে এ জরিপ চালায় ভারতের বন বিভাগ ও ভারত ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট।
জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সুন্দরবনে ত্রুমান্বয়ে বাঘের ঝুঁকি বাড়ছে। এ ছাড়া আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেশি থাকলেও সর্বোচ্চ বাঘ ঘনত্ব রয়েছে ভারতে। দেশটির সাজনাখালী অংশকে বলা হয়েছে বাঘের জন্য নিরাপদ স্থান আর সবচেয়ে অনিরাপদ হলো খুলনার সুন্দরবন অংশ।
সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে জাহাজ-ট্রলার চলাচল, পণ্য পরিবহন, দূষণ, বন উজার, চোরাকারবারিদের বাঘ হত্যাসহ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপকে বাঘের আবাসস্থল নষ্টের অন্যতম কারণ হিসেবে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারলে ১০৬টি বাঘের সংখ্যাটি বাড়বে না, বরং কমে আসবে। |
a8f5aa64-5824-4a03-bc9f-40cf2ee50a1e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। স্বল্পমুলধনী কোম্পানি হওয়ার একটি চক্র নতুন করে এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠছেন।
ইস্টার্ন ক্যাবলসের প্রাইস আর্নিং (পিই) রেশিও কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ২৪০৩.৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তাই এ কোম্পানিতে বিনিয়োগে উচ্চ ঝুঁকি বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের।
আর কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ৪০-এর ওপরে উঠলেই সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগে উচ্চ ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেই শেয়ারকে ‘নন-মার্জিনেবল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, সেই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা কোনো মার্জিন ঋণ পান না।
এদিকে বর্তমান বাজারে সুচকের নিন্মমুখী প্রবনতা বিরাজ করলে ইস্টার্ন ক্যাবলের শেয়ার টানা দরবৃদ্ধি ছিল। হঠাৎ করে কোন কারন ছাড়া এ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এছাড়া দুর্বল মৌল ভিত্তি শেয়ার নিয়ে হরহামেশা কারসাজি চলছে। এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। ইষ্টার্ন কেবল্স্ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কারণ জানে না বলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এক চিঠির জবাবে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে সিএসই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয়। চিঠির জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে তাদের পক্ষ থেকে মূল্য সংবেদনশীল কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আর শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে কোনও কারণ তাদের জানা নেই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার ৩৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৩ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় প্রায় ১০৭ টাকা। এরপর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দর কয়েকদিন কমতে থাকে।
গত ৭ মার্চ থেকে কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। গত ১৩ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৪৪.২০ টাকায়। সুতরাং এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর প্রায় ৩৭ টাকা বেড়েছে। জানা গেছে, একটি চক্র ইপিএস ও ডিভিডেন্ড কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে শেয়ার দর বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাছাড়া গত এক বছরের ব্যবধানে এ কোম্পানির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ১০০.১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ছিল। চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এ কোম্পানি প্রায় ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে টার্নওভার বেড়ে প্রায় ৪৪ কোটি ২৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। টার্নওভার বাড়লেও কমেছে কর পরিশোধের পর মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস)।
প্রথম প্রান্তিকে কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছিল ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর পরিশোধের পর মুনাফা কমে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ইপিএস ১৩ পয়সা কমে ০.০৩ পয়সায় দাঁড়িয়েছে ।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ক্যাবলস ২০১০ সাল থেকে ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৫ সালে কোম্পানিটি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা থেকে সর্বশেষ ৮ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮৬ সালে।
বর্তমান বাজারে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার আছে। যার মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সরকারের কাছে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার আছে। ২০১৫ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের টালমাতাল পরিস্থিতির মধ্যে ও ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ারের দর বাড়ার কারন কি। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। যে সকল বিনিয়োগকারীরা গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত শিকার হবেন। তাই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য ছাড়া গুজব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারে এক প্রকার জুয়া খেলা (গ্যাম্বলিং) চলছে। তবে এবার ছোট বাজারে ছোট আকারে হচ্ছে। যে সব কোম্পানির দাম বাড়ার কথা, সে সব কোম্পানির দাম না বেড়ে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির দাম বেড়েই চলছে।
কয়েক দিন ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তিনি আরও বলেন, যে সব কোম্পানি সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছেছে, তাদের দাম এত বেশি বাড়ার কোনো কারণ নেই। তবে এসব কোম্পানি নিয়ে বাজারে বিভিন্ন গুজব রয়েছে বলে জানান তিনি। আর কিছু কিছু বিনিয়োগকারী গুজব শুনে ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। |
7e0b0d79-9e10-478d-900d-ab229df11d99 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় গত সপ্তাহের ব্যবধানে এ সপ্তাহে লেনদেন কমেছে। পুঁজিবাজার উন্নয়নের সরকারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের নানা তৎপরতা সত্ত্বেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আসেনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় গেল সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
কমেছে মূল্য সূচক ও টাকার অংকের লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে বাজার মূলধন ও পিই রেশিও। দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। অপরবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র। উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপিল) সরকারি ছুটি থাকায় আলোচ্য সপ্তাহে এক কর্যদিবস কম অর্থাৎ চার কর্যদিবস লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (১০ এপ্রিল) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বুধবার (১৩ এপ্রিল) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ২২৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে চার দিনে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২৮ লাখ ৪ হাজার ৭৩ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯৬ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ২৩৬ টাকা।
তবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে টার্নওভারের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪০৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে টার্নওভার বেড়েছে ২৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৮৯ শাতংশ বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস কমেছে ৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা দশমিক ৯২ শতাংশ গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির(২৪ শতাংশ), কমেছে ২২২টির (৬৭ শতাংশ ) এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির (প্রায় সাত শতাংশ) আর লেনদেন হয়নি ৫টি (প্রায় ২ শতাংশ)কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিগত সপ্তাহে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৭৫ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৭০ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ৮০ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। |
366bfcaf-81f4-47a8-938d-c4f5cadf2938 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: জাপানে একদিনের ব্যবধানে শক্তিশালি ভূমিকম্পে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। শুক্রবার রাত রাত ১টা ২৫ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কায়োশু দ্বীপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। গত ২৪ ঘন্টায় এ নিয়ে জাপানে কয়েক দফা ভুমিকম্প হয়। এতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে মারা গেছে ২০ জন। বৃহস্পতিবার একই এলাকায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভুমিকম্পে মারা গেছে ৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভুমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। ২০ মিনিটের ব্যবধানে ওই অঞ্চলে ৫ দশমিক ৮ এবং ৫ দশমিক ৭ মাত্রার আরো দু’টি ভুকম্পন অনুভূত হয়। ভুমিকম্পের পর পরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পৌঁনে এক ঘন্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
একদিনের ব্যবধানে কয়েক দফায় এ ভূমিকম্পকে ২০১১ সালের সুনামির পর বড় ধরনের বিপর্যয়ের পূর্বাভাস বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া বিজ্ঞানিরা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ট্রেন সার্ভিসও।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কুমামতো শহরের মাইশি এলাকা। ভুমিকম্পের পর বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ওই এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিহিন অবস্থায় রয়েছেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কিয়েশু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে। কাছাকাছি সেন্দাই পারমাণবিক কেন্দ্রও। ভূমিকম্পে পারমাণবিক কেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভুমিকম্পে আহতের মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ভুমিকম্পে ওই অঞ্চলের বহু বাড়ি-ঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। অনেক স্থাপনা পরিণত হয়েছে কংক্রিটের জঞ্জালে। অন্তত ২৩ ব্যক্তি ভাঙ্গা দালানের নিচে আটকা পড়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির মুখ্য সচিব ইউসিহিদে সাগা।
ভুমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর দিয়েছে গণমাধ্যম। স্থানীয় টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, সড়ক বড় বড় ফাটল, গাড়ি উল্টে পড়ে থাকার দৃশ্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ৭ হাজার ২৬২ ব্যক্তিকে ৩৭৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ২০ হাজার উদ্ধারকর্মি নিয়োজিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে ওই অঞ্চলের নিশিহারা গ্রামের একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ধসে পড়ার আশঙ্কায় উপকূলীয় শহরের একটি হাসপাতালও খালি করে ফেলা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদক রুপার্ট উইংফিল্ড বলেছেন, গভীর রাতে এই বিপর্যয় ঘটায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন,‘হাজার হাজার ভীত সন্ত্রস্ত মানুষকে দেখেছি খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায় বা পার্কে জড়ো হয়ে আছে।’ পরপর দুটি ভূ-কম্পনের আঘাতে তারা বিপর্যস্ত।
উইংফিল্ড আরো বলেন,‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চোখে দেখতে না পেলেও আমরা ভেঙ্গে পড়া বাড়ি-ঘরের নিচে আটকে পড়া মানুষজনের সাহায্যের আবেদন পাচ্ছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার তৎপরতাও শুরু হয়েছে।’ |
c3015a2c-6544-4278-9869-ae3b5c8fca86 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা : বাংলাদেশ থেকে আশরাফুল, তামিম, রাজ্জাক, মাশরাফি আইপিএলে খেললেও খুব বেশি একটা আলো জ্বালাতে পারেননি। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার হিসেবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ থেকে এবার যোগ হয়েছে বোলিং বিস্ময় মুস্তাফিজ।
দেশের হয়ে একসঙ্গে লড়লেও আজই হয়তো বিদেশের মাটিতে দুজন দুজনের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছেন। আইপিএল-এর চলতি আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচে একাদশে থাকতে পারেন বাংলাদেশের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম ম্যাচে জিতেছিল নাইট রাইডার্সরা। ম্যাচটিতে বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল। তাই ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ কম ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ধাক্কা খেল কেকেআর। ঘরের মাঠে ব্যাটসম্যানরা লড়াই করার মতো স্কোর করলেও বোলাররা মুম্বাইর ব্যাটসম্যানদের আকটাতে পারেনি। ফলে হারতে হয় সাবেক দু’বারের চ্যাম্পিয়নদেরকে।
প্রথম দুটি ম্যাচেই কেকেআরের একাদশে ছিলেন না বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ফেরা এই তারকাকে দলে না নেয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছে। সুনিল নারাইন প্রথম দুটি ম্যাচে খেলতে না পারায় সাকিবকে দলে নেয়া হতে পারে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কারণ এই স্পিনার বল হাতে বিশ্বকাপে ফর্মে ফিরেছিলেন। এদিকে ব্যাট হাতেও ফর্মে আছেন সাকিব। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে রান দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। বল হাতে জ্বলতে না পারলেও ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিতে পারেন তিনি।
এবার তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার বাইরে খেলতে যাচ্ছে কেকেআর। হায়দরাবাদের বিপক্ষে লড়তে একাদশে পরিবর্তন আনা হতে পারে। কলিন মুনরোর পরিবর্তে সাকিবকে একাদশে নেয়া হতে পারে।
মুনরো বল হাতে প্রথম ম্যাচে ১ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন। তবে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করলেও ৫ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এবার তাকে বোলিং করতে দেয়া হয়নি। তাই এ ম্যাচে মুনরোর পরিবর্তে সাকিবকে দলে নেয়া হতে পারে।
এই ম্যাচে সাকিব মাঠে নামলে দুই বাংলাদেশির লড়াই দেখা যাবে। কারণ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামবেন মুস্তাফিজ। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সম্ভাব্য একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, হেনরিকস, ওঝা, দীপক হুদা, ইয়ন মরগান, আশিষ রেড্ডি, করণ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, মুস্তাফিজুর রহমান ও বারিন্দার স্রান।
কলকাতা নাইট রাইডার্স সম্ভাব্য একাদশ: রবিন উথাপ্পা, গৌতম গম্ভীর, মানিষ পান্ডে, কলিন মুনরো/ সাকিব আল হাসান, সুরেকুমার যাদব, ইউসুফ পাঠান, আন্দ্রে রাসেল, পিযুস চাওলা, হেসটিংন্স/ মরকেল, ব্রাড হগ/ সুনীল নারাইন ও উমেশ যাদব। |
1ec08149-7f8b-4cd6-9c86-b2852834119c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) সম্পন্ন হলে বাজারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তাদের সে প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
গত ডিসেম্বরে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হলেও বাজারে আজও গতি ফিরে আসেনি। পতনের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাজার। দেশি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কমে যাচ্ছে তাদের শেয়ার কেনার পরিমাণ। এর সঙ্গে কমছে নিট বিনিয়োগ। এছাড়া দীর্ঘ মন্দার কারণে বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
সিকিউরিটিজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিনিয়োগকারী না থাকায় হাউসগুলোতে খাঁ খাঁ অবস্থা বিরাজ করছে। বড় ধরনের উল্লম্ফনের পর ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ধস নামে পুঁজিবাজারে। সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা উদ্যোগেও বাজারে আর গতি ফেরেনি।
মাঝে মধ্যে নানা ইস্যুতে বাজারে কিছুটা গতি ফিরলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবার পতন ধারায় ফিরে গেছে। বলতে গেলে গত ৬ বছর ধরে মন্দার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাজার। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজি খুইয়ে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করলেও নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি মতিঝিলের কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাউসগুলো প্রায় ফাঁকা। বেশির ভাগ চেয়ারই তুলে রাখা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটা চেয়ার পাতা থাকলেও বসার মতো বিনিয়োগকারী নেই। এটি আজ রোববার চিত্র নয়। ছয় বছর ধরেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোতে। মাঝে মধ্যে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও আবারও শূন্য হয়ে পড়ছে।
অথচ ২০০৯ ও ২০১০ সালে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে গমগম করত হাউসগুলো। ধস শুরু হওয়ার আগে বসার জায়গা পেতে রীতিমতো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলত। লেনদেন শুরুর অনেক আগেই হাজির থাকতেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তাদের। নতুন নতুন শাখা খোলা শুরু হয়।
ইলেক্ট্রনিক শেয়ার সংরক্ষণ ও লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপেজটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) এ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ। গত সাড়ে ৫ বছরে এ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ৩২ লাখ বিও এ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী থাকলেও বাজারের প্রতি তাদের আগ্রহ নেই। আর আগ্রহ না থাকার কারণে তারা বাজারমুখীও হচ্ছেন না।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৮৯১৮ পয়েন্ট। আর ওইদিন লেনদেন হয় ৩ হাজার কোটি টাকা। সাড়ে ৫ বছর পর এখন লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারবাজার ভাল হবে এমন আশাবাদ নিয়ে অপেক্ষা করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বার বার তারা আশাহত হয়েছেন। এ কারণে বাজারের প্রতি তাদের আগ্রহ একেবারে কমে গেছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের হাউসে আসাও কমে গেছে। তবে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মোবাইলে লেনদেন করছেন বলে জানান তিনি।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। তাই বিনিয়োগকারীরা তাদের লোকসান মেনে নিয়ে বাজার থেকে চলে যাচ্ছে। অথচ নতুন বিনিয়োগকারী আনার ব্যবস্থা না করে একের পর এক নতুন কোম্পানি বাজারে আনা হচ্ছে। এতে চাহিদার অভাবে সেকেন্ডারি মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়টা বুঝতে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।
তাই নতুন কোম্পানি আনার ক্ষেত্রে সবার আগে পুঁজিবাজারে অবাধ অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেন নতুন শেয়ার নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি করে। অথচ ২০১০ সালের পরে ৭৭টা কোম্পানি আনা হলেও লেনদেন আগের জায়গায় তো নেই বরং আরও কমেছে। তাহলে নতুন বিনিয়োগকারী আসল কী ভাবে?’ তিনি বলেন, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর আয়-ব্যয় সমান হতে ডিএসইতে দৈনিক ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হওয়া দরকার। অথচ এখন হয় ৩০০ কোটি টাকা।
আনোয়ার সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আজম খান বলেন, ২০১০ সালে যে ধস হয়েছে তা থেকে পুনরুদ্ধার হয়নি। বাজারে এখনও মন্দা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ কমে গেছে। যাতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কমে গেছে। বর্তমানে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে তাতে হাউসগুলোর পক্ষে মুনাফা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির বাণিজ্য অনুষদের প্রধান মোহাম্মদ মূসা বলেন, ‘একটি দক্ষ পুঁজিবাজারের জন্য দরকার অধিক সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার অংশগ্রহণ। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা যত বাড়বে তা বাজারের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আর আমাদের বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাতে করে দক্ষ বাজার গড়ে তোলার পথে আমরা পেছনের দিকেই হাঁটছি। আর যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁরা তো বাজারের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। পাশাপাশি তাঁরা অন্যদের যে বার্তাটি দিচ্ছেন সেটি হলো, বাজারে কোনো আশা নেই। তাই তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন। এর ফলে যেটি হবে তা হলো নতুন করে বাজারে আসার ব্যাপারে অন্যদের তেমন আগ্রহ তৈরি হবে না। |
a2210490-6ad0-4f46-bd3c-218c481351c0 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের রাইট শেয়ারের চাঁদাগ্রহণ শুরু আজ থেকে। চলবে ১২ মে পর্যন্ত। রাইট শেয়ার ইস্যুর জন্য রেকর্ড ডেট ছিল ৮ মার্চ।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সম্প্রসারণ প্রকল্পের পুঁজি সংগ্রহের জন্য ১৪ টাকা দরে বিদ্যমান দুটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করছে জিপিএইচ ইস্পাত। ১৮ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার রাইট শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিটি বাজার থেকে ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। সম্প্রসারণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি অত্যাধুনিক ইস্পাত প্লান্ট স্থাপন করবে।
রাইট শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, নভেম্বর-জানুয়ারি (তৃতীয়) প্রান্তিকে জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ৭২ পয়সা।
এদিকে মে-জানুয়ারি সময়ে (প্রথম তিন প্রান্তিক) কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় জিপিএইচ ইস্পাত। বার্ষিক ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। দীর্ঘমেয়াদে এ কোম্পানির ঋণমান ‘ডাবল এ।
২০১২ সালে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাতের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১২৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভ ৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৪ দশমিক ৩১ ও বাকি ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার ২৯ টাকায় জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে এর দর ২৮ থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। |
e5f74721-839c-4a2e-be3d-32335e803e42 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটে অবশেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হলেন ড. অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা। এর আগে তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, স্বপন কুমার বালা বিএসইসি থেকে সদ্য অব্যহতি নেওয়া কমিশনার আরিফ খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-৩ অধিশাখা থেকে সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালাকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগ শর্তে নিয়োগের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে নতুন এ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, আজকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে কমিশনার করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। আজকেই কমিশনে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু, আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনো ছুটি নেয়নি। ছুটি নেওয়ার পরে কমিশনে যোগদান করবো।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল স্বপন কুমার বালাকে ডিএসই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদানের অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তিনি ওই মাসের ১৫ এপ্রিল তিন বছরের জন্য সিইও হিসেবে ডিএসইতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ প্রণয়নের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথক (ডিমিউচ্যুয়ালাইজড) হওয়ার পর তিনি ডিএসইর সিইও থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হন। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল তিনি ডিএসইতে শেষ অফিস করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টেড অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন স্বপন কুমার বালা। এছাড়া প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টসদের প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউড অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। |
5955fceb-d543-4ec1-877d-61478ac66d12 | পর্যটকদের ভিন্ন পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় টয়লেট সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হয়। অর্থাৎ প্রকৃতির ডাক তো আর এলাকা বুঝে আসে না, তখনই পড়তে হয় বিপদে। তখন হয়তো বাধ্য হয়েই প্রাকৃতিক কর্মটি উন্মুক্ত স্থানেই সেরে নিতে হয়। তবে ভ্রমণপিপাসুদের এ সমস্যা থেকে উদ্ধারে একটি সহজ নির্দেশিকা তৈরি করেছে প্রকাশনা সংস্থা লোনলি প্লানেট।
সংস্থাটি লন্ডনের রাস্তার গণশৌচাগার থেকে শুরু করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার মিটার উঁচুতে থাকা প্রক্ষালণকক্ষের শতাধিক ছবি প্রকাশ করেছে। ‘টয়লেটস : এ স্পটারস গাইড’ শীর্ষক বইটি ইতিমধ্যে পর্যটকদের মধ্যে বেশ আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। কারণ আর যাই হোক, কেউ-ই চান না বেড়াতে গিয়ে এ ধরনের বিপদে পড়তে। তাই সাবধান হওয়া আর কি!
ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাঁশ দিয়ে তৈরি টয়লেট থেকে বিলাসবহুল টয়লেটও রয়েছে। এর অনেকগুলোতে আবার রীতিমত শিল্পকর্মের ছোঁয়াও রয়েছে; যেখান থেকে জরুরি কাজটি সেরে নেওয়ার সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করা যাবে!
বইটির মুখবন্ধে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো অভিজ্ঞ ভ্রমণকারী জানেন, আপনি একটি জায়গার টয়লেট দেখে তার পুরো অবস্থা সম্পর্কে বলতে পারবেন। আপনি যে নামেই ডাকুন না কেন, ল্যাভাটরি, লু, বগ, খাসি, থান্ডারবক্স, ডানি, ওয়াশরুম বা ওয়াটার ক্লোসেট- টয়লেট হলো একটি গন্তব্যের গোপন আত্মা সম্পর্কে জানার জানালা।’
পাঠকদের জন্য শতাধিক টয়লেটের ছবি থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
১. এটি ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজে অবস্থিত। এই দ্বীপটিতে কোনো মানুষ বাস করে না। তবে এখানে দৃষ্টিনন্দন একটি টয়লেট তৈরি করে রেখেছে দেশটির সরকার। এ কারণে এর নাম ‘টয়লেট দ্বীপ’।
২. এটি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার হাইদা গাওয়াইতে অবস্থিত। যারা ঝুঁকি বা রোমাঞ্চ পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বিশেষ টয়লেট। সাগর পাড়ে দুটি খাঁজের মাঝে অবস্থিত। জোয়ারের সময় পানি এসে ময়লা ধুয়ে নিয়ে যায়। তবে ভয় পাবেন না। স্বাভাবিকভাবে সাগরের পানি কখনো টয়লেট পর্যন্ত ওঠে না।
৩. আশেপাশে কোনো বাড়িঘর নেই। তাই প্রকৃতিপ্রেমীরা টয়লেটের দরজা খোলা রেখে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে প্রাকৃতিক কর্মটি সারতে পারবেন। এটি নরওয়ের কোংসবার্গের জোংসনুতেন পর্বতের ওপরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০৪ মিটার উঁচুতে প্রাকৃতিক কর্মটি সারতে গিয়ে হয়তো টয়লেটটির মতো আপনার নিঃসঙ্গ অনুভূতি হতে পারে।
৪. এটি আইসল্যান্ডের ক্রাফলাতে অবস্থিত। আইসল্যান্ড মানেই তো বরফের রাজ্য। তবে প্রাকৃতিক কর্মের পর পুরিশ নিষ্কাশনের জন্য আপনাকে ফ্ল্যাশ করতে হবে না। জিওথারমাল বা ভূ-তাপে এগুলো এমনিতেই নিষ্কাশন হয়ে যাবে।
৫. এটি তাঞ্জানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে অবস্থিত। পর্যটকদের সুবিধার জন্য এটি করা হয়েছে। আপনি নতুন পর্যটক হলে একটু সাবধান। কারণ এটি ৪ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ভুলেও কোন জিনিস পড়ে গেলে খুঁজতে যাবে না। কারণ সেটি ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নাই।
৬. এটি নেপালের আমা ডাবলাম পর্বতে অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উঁচুতে হিম হিম ঠান্ডায় প্রাকৃতিক কর্মটি হয়তো তাড়াহুড়া করেই সারতে হবে। |
489425f8-63f3-4894-9a70-052aa4d3a95d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সুচকের মিশ্র প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন চলাকালীন সময় কয়েকবার সুচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখী হতে না হতে ফের সুচকর নিন্মমুখীতা বিরাজ করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক সামান্য কমলেও লেনদেন বেড়ে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম।
এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। গত রবিবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ২ পয়েন্ট, আর সিএসসিএক্স কমেছে প্রায় ৮ পয়েন্ট। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৩১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬২ পয়েন্টে এবং ০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৪২টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- কেয়া কসমেটিকস, মবিল যমুনা, এসিআই, ডোরিন পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, আমান ফিড, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, বিএসআরএম স্টিল এবং বিএসআরএম লিমিটেড।
অন্যদিকে সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৭ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ২১৬ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫২৪ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৪ দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে ৯৮৪ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৯২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১১৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- কেয়া কসমেটিকস, ডোরিন পাওয়ার, মবিল যমুনা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কাশেম ড্রাইসেল, এসিআই এবং ইউনাইটেড এয়ার। |
8201470a-534f-417e-8b44-55eec9594709 | ফাতেমা জাহান, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ার লাগামহীন ভাবে বাড়ছে। এ কোম্পানি ডিএসই নোটিশকে ডেন্ট কেয়ার করছেন। কোন কিছুতেই তোয়াক্কা করছেন না ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ার। গত এক বছরে মাথায় ৩০০ টাকায় শেয়ার এখন ৯৯৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারী শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে অভিযোগ করেছেন। স্বল্পমুলধনী কোম্পানি হওয়ার একটি চক্র গত এক মাস ধরে এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠছেন। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের প্রাইস আর্নিং (পিই) রেশিও কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ২৯৪.৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তাই এ কোম্পানিতে বিনিয়োগে উচ্চ ঝুঁকি বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের।
আর কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ৪০-এর ওপরে উঠলেই সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগে উচ্চ ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেই শেয়ারকে ‘নন-মার্জিনেবল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, সেই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা কোনো মার্জিন ঋণ পান না।
এদিকে বর্তমান বাজারে সুচকের নিন্মমুখী প্রবনতা বিরাজ করলে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ার টানা দরবৃদ্ধি ছিল। হঠাৎ করে কোন কারন ছাড়া এ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এছাড়া দুর্বল মৌল ভিত্তি শেয়ার নিয়ে হরহামেশা কারসাজি চলছে।এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কারণ জানে না বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে জানিয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। হঠাৎ করে কোম্পানিটির শেয়ারের ব্যাপক উত্থানে গত ১৩ মার্চ কোম্পানিটির দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ওই নোটিশের জবাবে কোম্পানিটি কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানায়।
এদিকে টানা উত্থানে বিগত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠে এসেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট। আজ কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ৯৯৮.৭০ টাকায় হাতবদল হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, আজ, সোমবার ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ার আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭.৪৯ শতাংশ বা ৬৯.৬ টাকা বেড়ে সর্বশেষ ৯৯৮.৭০ টাকায় হাতবদল হয়। এদিকে, গেল দুই বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিন্ম ৩০০ টাকা থেকে আজ সর্বোচ্চ ৯৯৮.৭০ টাকায় হাতবদল হয়েছে। আজ দিনশেষে কোম্পানিটির ১৩ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ৪১৮ বার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে আসে। এর অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার, প্রতিষ্ঠান ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বাকি ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩০০ টাকা। পরের প্রত্যেক কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮-৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। আর এতে আট কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার ৯৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৫৮২ দশমিক ৬০ টাকা দরে লেনদেন হয়েছে। এর পর থেকে সামান্য কারেকশনের মধ্যে দিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে শেয়ারটির দর।
এদিকে, গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত অর্ধবার্ষিকি (২য় প্রান্তিক) আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায় কোম্পানিটির মুনাফায় বড় ধরণের উল্লম্ফন ঘটেছে। ২য় প্রান্তিকের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল দশমিক ২০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৩৫ দশমিক ২৪ টাকা।
কিন্তু অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির মুনাফায় উল্লম্ফন ঘটে। এসময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ দশমিক ৯৯ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ দশমিক ৭৯ টাকা। কিন্তু এসময়ে এনওসিএফপিএস হয়েছে (০.৭১) টাকা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোম্পানিটির শেয়ার দর কয়েকদিন পরপর এভাবে বাড়তে থাকে। ডিএসই নোটিশ দিলে দর বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানানো হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত হলে কারসাজি জড়িত কি না তা খুঁজে বের করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ কোম্পানির মুনাফার হার কখনোই এতো বেশি ছিল না। এর আগে কোন বছরেই কোম্পানিটি এক কোটি টাকার ওপর নিট মুনাফা করতে পারেনি। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই কোম্পানিটি এক কোটি টাকার ওপরে নিট মুনাফা করেছে। আর এমন খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর লাগামহীনভাবে বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের টালমাতাল পরিস্থিতির মধ্যে ও ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারের দর বাড়ার কারন কি। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। যে সকল বিনিয়োগকারীরা গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত শিকার হবেন। তাই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য ছাড়া গুজব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারে এক প্রকার জুয়া খেলা (গ্যাম্বলিং) চলছে। তবে এবার ছোট বাজারে ছোট আকারে হচ্ছে। যে সব কোম্পানির দাম বাড়ার কথা, সে সব কোম্পানির দাম না বেড়ে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির দাম বেড়েই চলছে।
কয়েক দিন ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তিনি আরও বলেন, যে সব কোম্পানি সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছেছে, তাদের দাম এত বেশি বাড়ার কোনো কারণ নেই। তবে এসব কোম্পানি নিয়ে বাজারে বিভিন্ন গুজব রয়েছে বলে জানান তিনি। আর কিছু কিছু বিনিয়োগকারী গুজব শুনে ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। |
10df77f2-06fe-433f-b87d-b208897964ba | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি জাতীয় পর্যায়ে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দশটি উপকমিটি গঠন করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনিয়োগে সচেতনতা বাড়াতে এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে ও মাঠ পর্যায়ে বিনিয়োগকারী তৈরি করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগাম তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ধাপ তিনটি হচ্ছে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসইসির কমিশন সভা কক্ষে এ সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক ইস্যুতে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগাম’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএসইসি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই স্তর বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সংস্থাটি।
কমিশনের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটিতে রয়েছেন বিএসইসির ৪ জন কমিশনার,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।
বিএসইসির মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান এ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, আমরা তিন ধাপে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর এই ধাপ বাস্তবায়নের জন্য আরও ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষই সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বিষয়ে সচেতন নয়। টেকসই উন্নয়নের জন্য আর্থিক উন্নতি ও সক্ষমতা তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্থ করে। আমরা এ বাধা দূর করার প্রচেষ্টা হিসেবেই কমিশন এ কর্মসূচি নিয়েছি।
তিনি জানান, কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও আর্থিক সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষক হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আজকের সভায় ১০টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটি আর্থিক শিক্ষার পাঠ্যসূচি প্রণয়ণ, শিক্ষা কর্মসসূচির প্রক্রিয়া বা ধরণ নির্ধারণ, উপকরণ নির্বাচন, প্রকাশনা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।
সাইফুর রহমান আরও জানান, কর্মসসূচি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৭ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ছাড়াও স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, তালিকাভূক্ত কোম্পানিসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। আগামী জুলাই মাসে জাতীয় পর্যায়ে একটি সেমিনারের মাধ্যমে কর্মসহৃচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
পর্যায়ক্রমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা হবে। কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি স্বতন্ত্র বিভাগ খোলারও পরিকল্পনা করছে। এমনকি স্কুল ও কলেজের পাঠ্যসূচিতেও সাধারণ শিক্ষার অর্ন্তভূক্ত করা হবে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আর্থিক জ্ঞান বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। টেলিভিশনে নাটিকা প্রচার, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রদান করে এবং লিফলেট ও পোষ্টারের মাধ্যমেও এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হবে। |
b0d24e29-9aa2-40de-afb9-009273fc8afd | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুরনো নিয়মে নয়; নতুন নিয়মে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আসতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির বিশেষ একটি সূত্র সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ১৭ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ইস্যু-ম্যানেজার আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডে পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০০৬ মেনে আবেদন করে কোম্পানিটি। তবে আইপিও অনুমোদনের আগে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ প্রণীত হয়। বিএসইসির পুরান এই নিয়ম বাতিল হওয়ায় কোম্পানিকে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আসতে হবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে।
গত ৫ জানুয়ারি বিএসইসির কমিশন সভায় এনার্জিপ্যাকের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৫ টাকা দরে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন পায়। এর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা সংগ্রহ করার কথা ছিল।
উল্লেখ, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০০৬ সংশোধন করে বিএসইসি। এই সংশোধনীর মাধ্যমে আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে প্রধান পরিবর্তনটি হচ্ছে-ফিক্সড প্রাইস মেথডে (কোম্পানির প্রস্তাবিত দর) প্রিমিয়ামে কোনো কোম্পানির আইপিও অনুমোদন না করা। কোনো কোম্পানি আইপিওতে প্রিমিয়াম চাইলে সেটিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পাবলিক ইস্যু রুলসের সংশোধনীর গেজেট প্রকাশ করে বিজি প্রেস। আর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকেলে সেটি বিএসইসির হাতে পৌঁছায়। সেদিন দুপুরেই অনুমোদন পায় এনার্জিপ্যাকের আইপিও। ফলে নিজের করা আইন লংঘনের অভিযোগ উঠে বিএসইসির বিরুদ্ধে। সমালোচনার মুখে বিএসইসি প্রথমে এনার্জিপ্যাকের আইপিওটি পর্যালোচনার কথা জানায়। গত সপ্তাহে সেটি বাতিলই করে দেয়। |
c4b5b6e8-b2b4-4588-8927-e21ca77f0a82 | স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের পুনঃবীমা পলিসিতে অনিয়মের কারণে গত বছর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স বাতিল করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তাতে বীমা ব্যবসায় অনুমোদন হারায় প্রতিষ্ঠানটি। অথচ লাইসেন্সবিহীন এ প্রতিষ্ঠানের লেনদেন যথারীতি চলছে শেয়ারবাজারে।
আইডিআরএ সদস্য জুবের আহমেদ খান এ প্রসঙ্গে জানান, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স আমরা বাতিল করেছি। এখন এই নামে বীমা খাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। বিষয়টি আমরা শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) জানিয়েছি। আইনগতভাবে লাইসেন্সবিহীন কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে লেনদেন করতে পারে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষের।
এদিকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। তাই শেয়ারবাজারে কোম্পানিটি লেনদেন করতে পারবে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের বহুতলবিশিষ্ট পোশাক কারখানা ভবন আগুনে পুড়ে যায়। কীভাবে আগুন লাগে আর ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়, সে রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। অথচ এ ঘটনার পর যোগসাজশে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নেয়ার সুযোগ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয় একই গ্রুপের মালিকানাধীন বীমা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে গত বছরের ২১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বীমা কোম্পানিটির লাইসেন্স স্থগিত করে আইডিআরএ। পরে কোম্পানি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আইডিআরএর নির্দেশনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আবার আপিল বিভাগে যায় আইডিআরএ।
পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেন আপিল বিভাগ। এতে বন্ধ হয়ে যায় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কার্যক্রম।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব কাওসার আলী মুন্সি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আইডিআরএর কাছে রিভিউ পিটিশন করেছিলাম। তারা তা বাতিল করেছে। এখন সরকারের কাছে লাইসেন্স পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন জানাব। এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অসংখ্য সাধারণ বিনিয়োগকারী, বীমা গ্রাহক ও কর্মীদের ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। এ কারণে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, লাইসেন্সবিহীন স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন শেয়ারবাজারে চলবে কিনা, তা ঠিক করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে তারা বিএসইসির পরামর্শ নিতে পারে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বাড়ছে। আবার প্রতিষ্ঠানটিকে ডিএসই তালিকাচ্যুত করলেও আটকে যাবে অসংখ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ। তাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বসা উচিত।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটওয়ারি বলেন, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লেনদেনের বিষয়ে এখনো ডিএসইর পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে এ বিষয়ে বিএসইসি থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হবে, তা আমরা মেনে নেব।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের অগ্নিবীমা পলিসিতে কয়েক দফায় অনিয়ম প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্সের অগ্নিবীমার ২১৫ কোটি টাকার দাবি চূড়ান্ত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি)। অনেকটা গোপনে চূড়ান্ত করা এ পুনঃবীমা দাবি বর্তমানে আইডিআরএর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসবিসির মূল্যায়ন অনুযায়ী, স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের বীমার ২১৫ কোটি টাকা স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্স পুনঃবীমা করেছে এসবিসিতে। এখন এ ২১৫ কোটি টাকাই অগ্নিবীমা দাবি বাবদ দেয়া হবে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সকে। এদিকে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের দাবি, তারা ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বীমা করেছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে। এক্ষেত্রে বীমা দাবির বাকি অংশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সকেই পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৫২ দশমিক ৪০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার। ডিএসইতে গতকাল এ শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা। সুত্র: বণিক বার্তা |
a81c3ac7-e224-4b9d-bca7-3898af4dd585 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সর্বমহলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে টালমাতাল পরিস্থিতিতে লেনদেন শুণ্যের কোঠায় চলে আসছে। টানা কয়েক কার্যদিবস ধরে সুচকের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারকসহ সব মহলে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলে সফলতা আসছে না। বরং আশার বানী শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা।
২০১৬ সালে স্থিতিশীলতার স্বপ্ন জাগিয়ে বছর শুরু হয় পুঁজিবাজারে। তবে বিনিয়োগকারীদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে তা পূরণ হয়নি। বর্তমানে লেনদেন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এই সময়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ বেশ কিছু সংস্থারমূলক পদক্ষেপ নিলেও তার সুফল পায়নি বিনিয়োগকারীরা।
এ বছরও প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনে হিড়িক ছিল পুঁজিবাজারে। আর্থিক প্রতিবেদন সঠিক নিয়মে না দেখে অনুমোদন দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি অর্থমন্ত্রণালয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কে চিঠি দিয়ে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়।
পুঁজিবাজারে গত কয়েক দিনের টানা দরপতন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের একসঙ্গে বিনিয়োগবিমুখ আচারণকেই দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এতে ফায়দা নিচ্ছে একশ্রেণীর কারসাজি চক্র।
গত কয়েক মাস বাজার একটি স্বাভাবিক অবস্থানে থাকা অবস্থায় কেন টানা পতন ঘটছে এবং এ ধরনের দরপতনের নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকসহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বর্তমান বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য কারসাজি চক্রকে দায়ী করেছেন।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, বাজার একটু ভাল হতে না হতে ফের দরপতনের মুখে বাজার। এতে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া বর্তমান বাজার কারসাজির সাথে জড়িত বলে তারা মনে করেন। এ ব্যাপারে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ জরুরি। আজ ডিএসই তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে ক্রয়ের চেয়ে বিক্রয়ের প্রবণতা বেশি ছিল। এমনকি সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে আর্থিক লেনদেনও কমেছে।
একাধিক বিনিয়োগকারী বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে এসব কি হচ্ছে? বিনিয়োগকারীদের শোক কাটতে না কাটতে ফের শোকে আক্রান্ত। তাছাড়া পুঁজি নিয়ে দুঃচিন্তায় বিনিয়োগকারীদের দিন কাটছে। বেশ কিছুদিন ধরে টানা কারেকশনের নামে দরপতন ঘটাচ্ছে। এটা বাজারের জন্য খারাপ লক্ষণ বলে তারা মনে করেন।
অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা বলেন, বাজার কারেকশনের নামে কারসাজি খুবই দুঃখজনক। যেখানে বিনিয়োগকারীদের মূল পুঁজি ৫০% লোকসান রয়েছে। সেখানে ফের দরপতনের কারণ কি? এ ব্যাপারে বিএসইসি কঠোর নজরদারী প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগকারীদের যে মুহূর্তে হারানো আস্থা ফিরতে শুরু করছে সেই মুহূর্তে দরপতন ও অস্থিতিশীল আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টগুলো এক প্রকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ ডে-ট্রেডারের মতো আচরণ করে সেল প্রেসার ফেলছে।
কেউ আবার সাইডলাইনে বসে আরো কমদামে শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগ থেকে দূরে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাজারকে যারা কারসাজির আশ্রয় নিয়ে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ব্যাপারে খতিয়ে দেখে সরকারের ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। |
aadb2583-7b7f-4600-8a37-ebdbcab3a807 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতার আভাসে ফের দু:চিন্তায় পড়ছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতনে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বিনিয়োগকারীদের। তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চরম অস্থিরতায় ভুগছেন । মাঝে মধ্যে দু এক কার্যদিবস বাজার ভাল হলেও স্থিতিশীলতায় ফিরছে না।
যার কারণে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগমুখী হচ্ছেন না। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের হাতে নগদ টাকা না থাকাও বিনিয়োগে না ফেরার অন্যতম কারণ। ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় থাকলেও তাদের সেই প্রত্যাশা কিছুতেই পূরণ হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ আর হতাশার মধ্যে হাবুডাবু খাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, টানা ছয় বছর ধৈর্য্য ধরে একটি স্থিতিশীল বাজার পাচ্ছি না। ছয় বছরেরও যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারকে স্থিতিশীল করতে সে সংস্থার দরকার কি?। সরকারের উচিৎ নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সংস্থা সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইবি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা। না হয় সংস্থাটির চেয়ারম্যান সহ কর্মকর্তাদের মাঝে পরিবর্তন আনা উচিৎ।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় সূচকের মাঝারি ধরনের পতন হয়েছে। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। এদিকে সূচকের পাশাপাশি দেশের উভয় বাজারে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর। এ হিসাবে লেনদেনে অংশ নেওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে ৬৭ শতাংশ ইস্যুরই দর কমেছে। দর কমে যাওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে ৩৬টির দর ৩ শতাংশ বা তার বেশি কমেছে। সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের। এ কোম্পানির দর কমেছে ১৩ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে ডিএসইর আর্থিক লেনদেন ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সোমবারের তুলনায় লেনদেন কমেছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এসিআই। দিনশেষে কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মবিল যমুনার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইবনে সিনা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, আমান ফিড, এসিআই ফরমুলেশন্স। |
4bd5c5c9-c756-42fd-9c03-c3769b6df1bb | কুমিল্লা ব্যুরো: সোহাগী জাহান তনু হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম বলেছেন, ‘তনু হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর সাথে একাধিক ব্যাক্তি জড়িত থাকতে পারে। যদিও চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলা হয়নি।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন ড. নাজমুল করিম। এসময় তিনি জানান, তনু হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে তনু হত্যার তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের নেতৃত্বে কুমিল্লা ও ঢাকার একটি দল কুমিল্লা সেনানিবাস পরিদর্শন করে। দুপুরে দলটি কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এসে তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রভাষক শারমিন সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন তনু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীমসহ অন্যান্যরা।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে তনু হত্যাকাণ্ডের প্রথম ময়নাতদন্তকারী দুই চিকিৎসককে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সে সময় ডা. শারমিন সুলতানা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।
ওইদিনই কুমিল্লা পরিদর্শন করেছিলেন সিআইডির ডিআইজি (ক্রাইম-ইস্ট) মাহবুব মোহসিনসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে তনু হত্যা মামলার বিষয়ে বৈঠক, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তনুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন তনুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করলেও তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বলায় প্রতিবেদন নিয়েও সমালোচনা হয়। অবশ্য ৩০ মার্চ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ তুলে নমুনা নেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা সেই প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
এ ঘটনা তদন্তে র্যাব ও পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে চলে বিক্ষোভও। তবে হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরে সেনা সদর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারাও তনুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়। |
bc16a056-93ab-47e0-b8c4-1c425b2c844b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশেষ স্কীমের আওতায় সকল পাবলিক ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের মেয়াদ আগামী ১ জুলাই ২০১৬ তারিখ থেকে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত (অর্থাৎ ১ বছর) বাড়ানো হয়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়েছে অর্থমন্ত্রনালয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রনালয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্ষতিগ্রস্তদের কোটার মেয়াদ ছিল ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত। কিন্তু বাজার পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা আর্থিক ক্ষতি কাটাতে না পারায় কোটার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
পরবর্তীতে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সকল প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ২০ শতাংশ কোটার সময়সীমা চতুর্থ দফা বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রস্তাবনায় নতুন সময়সীমা ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদের কাছে গত ২৮ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বৃহৎ স্বার্থে ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল প্রাথমিক গণপ্রস্তাব ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সময়সীমা ১ জুলাই ২০১৬ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত করার অনুরোধ করা হলো।
এ জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৫৬০তম কমিশন সভায় গণপ্রস্তাব ইস্যুতে কোটা সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ২০১২ সাল থেকে দেয়া হয়। এরপর২০১৪ সালের জুনে এ কোটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে কোটার মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে২০১৫ পর্যন্ত আনা হয়। পরবর্তীতে কোটার মেয়াদ ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের কোটার মেয়াদ আরো একবছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রনালয়ের কাছে সুপারিশ করে বিএসইসি।
জানা যায়,পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিশেষ স্কিম দেয়ার জন্য ঐ বছরের ২৭ নভেম্বর ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটি ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে বিভিন্ন সুপারিশসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দের কথা বলা হয়। এরপর ঐ বছরের ৫ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস সময় বেঁধে দেয় (১ জুলাই ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩)। ৩০ এপ্রিল বিশেষ স্কিম কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে বিএসইসির কাছে জমা দেয়।
এর মধ্যেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ২০৪টি ব্রোকারেজ হাউসের ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্যভুক্ত ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউসের ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫ টি মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এতে করে সর্বমোট ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী কোটা সুবিধার আওতায় আসেন।
২০১২ সালের ২৬ জুন মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ সুদ মওকুফ এবং আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটাসহ বিশেষ কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে ৩ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে কোটা বরাদ্দের সময়সীমা আরো ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ২০ শতাংশ কোটা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি আইপিওতে কোটা বরাদ্দ শুরু করে। |
4721938c-ebfd-4433-a565-a11dd147348b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। ১০ টাকা বরাদ্দ মূল্যে শেয়ারবাজারে আসা এ কোম্পানির দিনশেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৮.৫০ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮.৫ টাকা। দরবৃদ্ধির এ হার ৮৫ শতাংশ।
তবে দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দর হাঁকানো হয় ৩৭ টাকা। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দর উঠে ৩৮ টাকা। কিন্তু সে দরে ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় ধীরে ধীরে শেয়ারের দর কমতে শুরু করে। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বিনিম্ন দর ছিল ১৮ টাকা।
প্রথম দিনে ১৪ হাজার ১০৬ টি হাওলায় মোট ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৪০৮ টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। হাতবদল হওয়া শেয়ারের মূল্য হচ্ছে ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ২১.১৫ টাকা।
এতে বুঝা যায়, দিনের শুরুতে কোম্পানিটির যে দরে কেনা-বেচা হয়েছে দিনের শেষে তার চেয়ে কম দরেই শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। মূলত শেষ দিকে শেয়ারের দর কমে যাওয়ার কারণে আইপিও বিজয়ী বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না।
অপরদিকে আরও দর কমতে পারে; এ কারণে শেয়ার ক্রয়েও হাত গুটিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা। এদিকে কোম্পানিটি আইপিওতে ১ কোটি ৭৭ লাখ শেয়ার ছেড়েছিল। লেনদেনের প্রথম দিনে শেয়ার বিক্রয় হয়েছে ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৪০৮টি। এ হিসাবে প্রথম দিনেই আইপিও শেয়ারের ৩৪ শতাংশ হাতবদল হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৫৪৩তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। তবে কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। আইডিআরএ’র আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন স্থগিত করে বিএসইসি।
পরবর্তীতে আইপিও ফিরে পাওয়ার জন্য আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। সেসব শর্ত পরিপালন হওয়ার পর আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি কোম্পানিটির আইপিওর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিএসইসি |
49fbb5f4-361a-4775-841c-835e5de3fbe4 | সোহাগ রাসিফ, জবি: তিন বছর আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিই চালাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যাবতীয় কার্যক্রম। দলীয় সূত্রে জানা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালে ৩ই অক্টোবর। এতে নেতৃত্বে আসেন সভাপতি এফ.এম শরিফুল ইসলাম।
এবং সাধারন সম্পাদক এস.এম সিরাজুল ইসলাম। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৩ই অক্টোবর নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে শীঘ্রই নতুন এ কমিটি ঘোষনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংঘঠনটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে কেন্দ্রর এ ঘোষনাকে কথার কথা হিসেবে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
জবি ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায় ভাইটাল ( সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক) পদের জন্য বিভিন্ন ভাবে লভিং করেছেন অন্তত এক ডজন ছাত্রনেতা। ভাইটাল পদ পেতে আগ্রহী ছাত্রনেতারা নিজেদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত ছাত্রলীগের পার্টি অফিসে লোকে লোকারন্য করে রাখেন তাদের নিজস্ব নেতা কর্মিদের দিয়ে। জানা যায় তারা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের মন যোগিয়ে রাখতে বিভিন্ন ভাবে লভিং করে বেড়াচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, অতি দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নবায়ন করা হবে। নেতৃত্বে আসার জন্য লভিং করে লাভ হবে না। যারা নিয়মিত ছাত্র এবং যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তারাই নেতৃত্বে আসবেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসেন বলেন, যাদের বয়স ২৯ বছরের কম এবং যারা নিয়মিত ছাত্র তাদেরকেই নতুন কমিটিতে রাখা হবে। নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ.এম শরিফুল ইসলাম বলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের ইচ্ছা অনুযায়ী নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জবির একাধিক ছাত্রনেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে দাবী জানিয়ে বলেন, আমরা জগ্নাথের কলেজ ব্যাচের কোন ছাত্রের নেতৃত্ব চাই না, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচ থেকে নতুন নেতৃত্ব চাই। তারা বলেন নেতা হতে হলে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হতে হবে।
এদিকে জবির ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জবির পরবর্তী কমিটিতে সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী শাখাওয়াত হোসেন প্রিন্স, সাইদুর রহমান জুয়েল, সুরঞ্জন ঘোষ, সাইফুল্লাহ ইবনে সুমন, মোঃ ইব্রাহীম।
এছাড়া সাধারন সম্পাদক পদের জন্য লভিং করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসেনের অনুসারী হারুন অর রশিদ হারুন, আনিসুর রহমান শিশির, জহির রায়হান আগুন, তানভীর রহমান খান। এছাড়া নেতা হওয়ার জন্য গোপনে লভিং করে যাচ্ছেন আরো কমপক্ষে পাচ নেতা। গ্রুপ না থাকায় তারা প্রকাশ্যে নাম বলছেন না। |
efbaf57c-9fae-439a-9229-134c9920e9f1 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এবার রাজধানী ঢাকা দক্ষিণখানে স্বামী-সন্তানের সামনে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা ও পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে পেটালো স্থানীয় জমির দলালচক্র। এ ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্তার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনার তিনটি ভিডিও ক্লিপ বাংলামেইলের হাতে পৌঁছে।
নির্মম এই নির্যাতনের শিকার দুই নারীর নাম মাকসুদা বেগম (৪৮) ও তার মা হালিমা বেগম (৭০)। তারা নিজেদের মালিকানাধীন দক্ষিণখানের ৪৫/১ মধ্য ফায়েদাবাদের বাড়িতে থাকেন। ওই বাড়ির সামনেই এই ঘটনা ঘটে। ভিডিও তিনটি বাসার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত।
এ ঘটনায় হামলার শিকার নারীরা দক্ষিণখান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ উল্টো হামলাকারীদের থেকে একটি মামলা নিয়ে এই নারী এবং তার স্বামী ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। তারা এখন জেলে। তবে নির্যাতিতা মাকসুদা বেগম গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।
৯ মিনিট ২১ সেকেন্ড, ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড ও ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই তিনটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দু’জন নারীকে ৬-৭ জন নারী ও ৮-৯ জন পুরুষ পালাক্রমে পেটাচ্ছে। কখনো লাঠি, কখনো হাতুড়ি, কখনো রড ও কখনো ইট দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে তাদের। আঘাতে ওই নারী মাটিতে লুটে পড়েন। বৃদ্ধা হালিমা বেগমকে এলোপাতারি পেটানো হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। এসময় এই দুই নারীকে উদ্ধার করতে এসে ছেলে কামরুল হাসান মুন্না (১৮) ও তার বাবা আবুল হোসেন খান (৫৮) হামলার শিকার হোন।
এ সময় ঘটনাস্থালর পাশের একটি ভবনের সঙ্গে থাকা সিসি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা ধারণ হচ্ছে বুঝতে পেরে হামলাকারীরা সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর চলে আরো অমানুষিক নির্যাতন। চলে দ্বিতীয় ধাপের হামলা। এসময় দালালরা তাদেরকে পাশের একটি ভবনের কক্ষে আটকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পেটায়। সেখানে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে দক্ষিণখান থানার এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরদিন ১৯ এপ্রিল তারা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের মামলা নেয়ার নামে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে হামলাকারীদের খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর নির্যাতনের শিকার সবাইকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান। এরপর হামলাকারীদের থেকে একটি অভিযোগ মামলা হিসেবে নিয়ে এই নাটক সাজায় পুলিশ।
জানতে চাইলে দক্ষিণখান থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান প্রথমে বাংলামেইলকে বলেন, ‘এটাই সন্ত্রাস। এরা ওই নারীদের (হামলাকারীদের) কুপিয়ে জখম করেছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি নেয়নি। পরে তারা টঙ্গীর একটি হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র নিয়ে মামলা করতে আসে।’
একটু পরেই তিনি সুর পাল্টে বলেন, ‘তারাতো থানায় মামলা দিতে আসেনি।’ অথচ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার অফিসকক্ষ থেকেই।
এদিকে মাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার মুন্না বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটার। তিনি বিদেশের মাটিতেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। এর আগেও এই দালালদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। ওই হামলায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর থেকে তিনি আর খেলতে পারছেন না। তার বাবা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ পরিদর্শক। বড়ভাই মামুন হোসেন খান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের কেইস প্রকল্পের সড়ক পরিদর্শক।
নির্যাতনের শিকার কামসুদা বেগম বাংলামেইলকে বলেন, ঘটনার দিন ভূমিদস্যু মিজানুর রহমান একদল ক্যাডার ও একদল দালাল এসে হঠাৎ তাদের বাড়ির স্যুয়ারেজ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে বাড়ির দরজায় ট্রাক ভর্তি করে বালু রাখে। এতে ওই বাড়ির দরজা ও পানি এবং স্যুয়ারেজ লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলে কোনো কথা না বলে হামলা চালায়।
বাংলামেইলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হামলাকারী ওই পুরুষ ও নারীদের নাম। তারা হচ্ছেন- স্থানীয় জমির দালাল মিজানুর রহমান সরদার (৪৬), নাছিমা বেগম (৪০), বাচ্চু মিয়া (৪৮), ফাতেমা বেগম (৪৮), আতাহার আলী ওরফে আতশ (৪২), রাশেদা বেগম (৪০), মোহাম্মদ আলী (৩৮), মিন্টু মিয়া (১৯), জয় (১৯), মহসিন (২২), খলিল মিয়া (৫৫), সামসু (৩২), হালিমা বেগম। স্থানীয়রা জানান এরা সবাই জমির দালাল চক্রের সদস্য।
হামলায় আহত মাকসুদা বেগম বলেন, আমাদের বাড়িটি দখল করার জন্যই এভাবে মারধর করেছে। প্রথমে তারা আমার বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইন ও পানির লাইন বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে আমি তাদেরকে জিজ্ঞাস করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর এভাবে হামলা করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমরা হাসপাতালে ভর্তি হই। এরপর ওসি সাহেব আমাদেরকে মামলা দিতে থানায় আসতে বলে। আমরা মামলা দিতে এসে উল্টো আমাদের গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায়। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা দেখতে চাই। তারা কিছুই না দেখিয়ে আমাদের গ্রেপ্তার করে। আমাদের ওপর হামলার ভিডিওটি তাকে দেখাতে চাইলেও তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
জানতে চাইলে দক্ষিণখান থানার এসআই ও নির্যাতনকারী মিজানুর রহমান সরদারদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, ‘এমন নির্যাতনের শিকার কেউ থানায় আসেনি।’
তাহলে থানা থেকে তারা কীভাবে গ্রেপ্তার হলো এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, ‘সেদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওসি সাহেব আমাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মামলার ৭ জন আসামি, তাদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করো। পরোক্ষণে তারা থানায় এলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
মাকসুদা বেগম, তার মা হালিমা বেগম, স্বামী আবুল হোসেন খান ও ছেলে খুদে ক্রিকেটার কামরুল হাসান মুন্নাকে নির্যাতনের তিনটি ভিডিও বাংলামেইলের হাতে রয়েছে এমন তথ্য জানালে তিনি বলেন, ‘তারা যদি থানায় আসে অবশ্যই মামলা নেব। তারা না আসতে পারলে, অন্য কারো মাধ্যমে মামলা পাঠালেও গ্রহণ করা হবে। সুত্র: বাংলামেইল |
13aea757-4b6b-430a-88bb-cd85bd5df01f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় ৯ নম্বরে চলে আসে ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি। তবে ডিভিডেন্ড ঘোষনার আগে দরপতনের তালিকায় চলে যাওয়ায় এ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা কোম্পানির ডিভিডেন্ড নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
২৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে লভ্যাংশ ও বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন কোম্পানিটির পরিচালকরা।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে গত বছর শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করেছে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল। আইপিওর পর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬০ থেকে ১১০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জ প্রকাশিত উপাত্ত অনুসারে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে রিজেন্ট টেক্সটাইলের নিট মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রথম নয় মাসে আইপিও-পরবর্তী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে রিজেন্ট টেক্সটাইলের নিট মুনাফা ছিল ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আইপিও-পরবর্তী ইপিএস ১ টাকা ৩৫ পয়সা। পুনর্মূল্যায়নজনিত উদ্বৃত্তসহ আইপিও-পরবর্তী শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৯ টাকা ৭০ পয়সা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার রিজেন্ট টেক্সটাইল শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। গত ডিসেম্বরে লেনদেন শুরুর পর শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৩১ টাকা ও সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিক শেয়ার বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। আইপিওতে কোম্পানির চাহিদার তুলনায় প্রায় ছয় গুণ আবেদন জমা পড়ে। ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের ইস্যুমূল্য ছিল ২৫ টাকা।
প্রসপেক্টাসে আইপিওর ৬৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ অর্থ কোম্পানির কারখানা সংস্কার ও সম্প্রসারণে ব্যয় করার ঘোষণা দেয় কোম্পানি। নতুন তৈরি পোশাক প্রকল্পে ৩১ দশমিক ৮৮ শতাংশ অর্থ এবং বাকি ২ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যয় হয় আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে, সম্প্রসারণ ও সংস্কার পরিকল্পনা সফল হলে ২০১৭ সালে তাদের উত্পাদন সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণে উন্নীত হবে এবং এতে কোম্পানির মুনাফা বাড়বে। |
8c1d6d52-6978-46c4-8669-ffc7bea54b81 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার দর রোববার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসই সুত্রে জানা গেছে। দিন শেষে দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে কোম্পানিটি। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রথমার্ধে মুনাফা কমার কারণেই কোম্পানিটির শেয়ারদর কমছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট থেকেই সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ারদর নিম্নমুখী। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেয়ারটির দর ছিল ৩০ টাকার উপরে, চলতি মাসের শুরুর দিকে যা ২০ টাকার ঘরে অবস্থান করছিল। ডিএসইতে গতকাল সর্বশেষ ১৬ টাকা ৬০ পয়সায় সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৬ থেকে ৩৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় সেন্ট্রাল ফার্মা। গেল হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও দেয় এ কোম্পানি। তখন এর ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) সেন্ট্রাল ফার্মার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা।
জানা গেছে, ২০ কোটি টাকার বেশি অনাদায়ী মূল্যসংযোজন কর (মূসক) নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে টানাপড়েনে আছে কোম্পানিটি। এনবিআরের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলে রিজার্ভের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান অর্থ বকেয়া মূসক বাবদ পরিশোধ করতে হতে পারে কোম্পানিটিকে।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে আসা সেন্ট্রাল ফার্মার অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি, পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ও রিজার্ভ ৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৩ দশমিক ৭৯ ও বাকি ৪৭ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১০ দশমিক ৯২, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১৩ দশমিক ৬১। |
ba5ae784-8f50-4e50-a6cb-83a9119cfb61 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর অর্থউপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী যৌক্তিক। এটা না বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই।এটা বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের দাবী। এ দাবী খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ডেভেলপমেন্ট অব ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইকোনোমি দ্যা রোল অব মার্চেন্ট ব্যাংক শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা। তিনি বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুমিকার সমলোচনা করেন। এছাড়া বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী যৌক্তিক। এটা না বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর ফলে বাজারে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বরং বাজার দ্রুত শক্তিশালী হবে। বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে আশার আলো জাগবে। এমনকি পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বহুদিনের এ দাবি পুরন করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, এখন ব্যাংকে যে পরিমান অলস টাকা পড়ে আছে, সেখানে আরও টাকা দিলে অলস টাকা বাড়বে। অলস টাকা বাড়লে ব্যাংক আমানত নিতে অস্বীকার করবে। আমার মনে হয় এই মুহুর্তে বেশি টাকা ব্যাংকের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া যুক্তিসংগত হবে না। কাজেই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা অত্যান্ত যুক্তিসংগত।
এখন যদি কেউ এটি বাস্তবায়ন না করতে চায়, তাহলে তার শক্ত যুক্তি দেখাতে হবে এতে- ‘অর্থনীতির ক্ষতি হবে’ যেটাকে বলে বাবল। বাবল সৃষ্টি হয়, যদি হঠাৎ টাকা আসে। বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো সঠিক ভাবে হলে বাবাল হওয়ার সুযোগ নাই। আমি মনেকরি এ মুহুর্তে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক, বলেন মশিউর রহমান।
এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক ও সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা হবে। এরপর আমরা গেলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলে এটি আসতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। গেলাম অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কাছে চিঠি লিখলে আমরা ওকে করে দিবো। এই করতে করতে এ বিষয়ে জড়িত হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে গেলাম তিনি পুঁজিবাজারের স্বার্থে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
এরপর অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের সামনে কথা দিয়েছেন বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো হবে। সে সময় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। আমরা খতিয়ে দেখলাম যে আইনে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই আইন পরিবর্তন না করেই সমন্বয়ের সীমা বাড়ানোর সুযোগ আছে। এখন শুনছি কায়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রীকে বোঝানো হচ্ছে এই সুযোগ দেওয়া হলে বাজার মেনুপুলেট (কারসাজি) ও বাবল হবে। আমরা কোন অর্থ খুজে পাচ্ছি না এটাতে কিভাবে বাজার বাবল হবে, বলেন রকিবুর রহমান।
এ সময় তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ কিছু তো না। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে পুঁজিবাজারকে আনতেই হবে। আর একটি কথা- আমরা যদি ব্যক্তি বিশেষকে শিল্পায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার উপরে ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত রিসিডিউল (ঋণ পুনঃতফসিল) করতে পারি, তাহলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর জন্য এ কাজটি (বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো) কারতে পারি না। আমরা টাকা চাচ্ছি না, সহায়তা চাচ্ছি না, কোন ফান্ড চাচ্ছি না। আমরা শুধু পলিসি সাপট (নীতি সহায়তা) চাচ্ছি। এখন যেভাবে আইন, নীতিমালা করা হয়েছে, সেখানে বাজার বাবল করার সুযোগ কোথায়?
ডিএসইর সাবেক জৈষ্ঠ সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ সমন্বয় করা নিয়ে কেন এই খেলা খেলছে? আজ পর্যন্ত দেখিনাই কোন আইনে বিনিয়োগ সমন্বয়ের বিষয়ে তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে ধিরে ধিরে পুঁজিবাজার ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের গলার টুটি টিপে ধরে আছে। এ ধরণের কার্যকালাপ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাস মুনাফার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো। আবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) তালিকাভূক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স’র নিবন্ধন সনদ বাতিল করে দিলো। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হওয়ার পরও বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে একবারও পরামর্শ করার প্রয়োজন মনে করলো না। এখন এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের কি হবে? এভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন এক এক সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর লক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড করা হয়েছে। তবে অনেক বিজ্ঞরা এ বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন। ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়েছে কিন্তু শেয়ারবাজারে ইতিবাচক না হওয়ায় তারা সমালোচনা করেন।
সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি কারনে ২০১০ সালের পরবর্তী সময়ে ফোর্সড সেল করা সম্ভব হয়নি বলে জানান খায়রুল হোসেন। যাতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তবে গত ৫ বছরে বিভিন্ন আইন-কানুন করায় প্লেসেমন্ট, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ছে, বলেন খায়রুল হোসেন।
দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি ও বিএসইসি’র সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, শুধুমাত্র ফি নিতে কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে মার্চেন্ট ব্যাংকের সুপারিশ করা ঠিক না। সম্পূর্ণ ডিউ ডেলিজেন্স পালন করে একটি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে হবে। এছাড়া একটি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে টাকা সংগ্রহ থেকে শুরু করে তা ব্যবহার পর্যন্ত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষে তদারকি করা দরকার।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যানুযায়ি বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করে না। এই তথ্য বিশ্বাসযোগ্য করে প্রকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ মিথ্যা অ্যাকাউন্টস প্রকাশ করতে পারে না। যদি করে সেটা ক্রিমিনাল অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সময়সীমা ইস্যুতে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না। যাতে বাজারে খারাপ অবস্থা। এছাড়াও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহনে সমন্বয়হীনতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন ড. মোহাম্মদ মূসা। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা না বুঝে শেয়ারবাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করে। আবার অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে শুধুমাত্র একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এটা দূর্ভাগ্যজনক। তারা এক্ষেত্রে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে ভালো ও বড় কোম্পানি আনা দরকার। কিন্তু দেশে এমন কোম্পানি থাকলেও শেয়ারবাজারে আসতে চায় না।
বিএমবিএ সভাপতি মো. সায়েদুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে, শুধু শেয়ারবাজারে না। এর অন্তরায়ে রয়েছে শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সময়সীমা ও মার্জিণ ঋণ ঋণাত্মক (নেগেটিভ) ইক্যুইটি’র বিষয়। এই দুই বিষয়ের সমাধান হলে শেয়ারবাজারে উন্নয়ন হবে। এছাড়া শেয়ারবাজারের উন্নয়নে মান সম্পন্ন কোম্পানি আনতে হবে।
প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রনে অনেক রুলস রেগুলেশন করা হয়েছে। যা শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক। এছাড়া নতুন পাবলিক ইস্যু রুলসের মাধ্যমে প্রাইমারি মার্কেট উন্নত হবে। শেয়ারবাজারের আরও উন্নয়নে ভালো ভালো কোম্পানি আনতে হবে। |
6c19fabe-579e-4942-b5a0-f32664ef2f11 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, ড. স্বপন কুমার বালা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে বিএসইসির কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের জন্য কাজ করতে পারবেন। তিনি একজন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এছাড়াও তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে।
সামগ্রিক বাজার, ট্যাক্স এবং অন্যান্য বিষয়ে অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালার যে জ্ঞান রয়েছে সেগুলো কাজে লাগিয়ে তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ (২৫ এপ্রিল) ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান, মোঃ শাকিল রিজভী, খাজা গোলাম রসূল এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন পাটওয়ারী, এফসিএমএ ৪ (চার) সদস্যের প্রতিনিধিবৃন্দ বিএসইসির নব-নিযুক্ত কমিশনার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালাকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পুঁজিবাজার বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় যেমন: আসন্ন জাতীয় বাজেট, ব্যাংক এক্সপ্রোজার লিমিট, সিডিবিএল এর বিভিন্ন চার্জ, ইটিএফ, পাবলিক ইস্যু রুলস্, ক্লিয়ারিং কোম্পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সবশেষে অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ডিএসইর যে সব সমস্যা রয়েছে তা আমার জানা আছে। কমিশন একটা কালেক্টিভ বডি। সেক্ষেত্রে কমিশন বাজারকে নিয়ে ভাবে। কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান বৃহত্তর নীতি নির্ধারনের কাজ করে। যে কোন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মোঃ হেলাল উদ্দিন নিজামী, মোঃ আমজাদ হোসেন এবং মোঃ এ সালাম সিকদার। |
5244b17c-d382-4513-9d14-f013946cf598 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা হবে। অর্থমন্ত্রী-বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের নিকট পুঁজিবাজারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন দিয়ে এসেছি।
তারা এ বিষয়ে হ্যাঁ অথবা না কিছুই বলছেন না। এখন আমরা কার কাছে যাবো। যেখানে একটি কোম্পানিকে ব্যাংক লোন দিয়ে ১৮ থেকে ২০ বছরের জন্য রিসিডিউল করে দেয়া হয়। অথচ লাখ লাখ বিনিয়োগকারীরা এ বাজারের জন্য সামান্য পলিসি সাপোর্ট চাচ্ছি। সামান্য এই পলিসি সাপোর্ট দিয়ে শেয়ারবাজারকে রক্ষা করার দাবি জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর পূবানী হোটেলে ‘অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনারে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান।
রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা হবে। এরপর আমরা গেলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে এটি আসতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। গেলাম অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কাছে চিঠি লিখলে আমরা ওকে করে দিবো। এই করতে করতে এ বিষয়ে জড়িত হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে গেলাম তিনি পুঁজিবাজারের স্বার্থে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
এরপর অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের সামনে কথা দিয়েছেন বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো হবে। সে সময় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। আমরা খতিয়ে দেখলাম যে আইনে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই আইন পরিবর্তন না করেই সমন্বয়ের সীমা বাড়ানোর সুযোগ আছে।
এখন শুনছি কায়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রীকে বোঝানো হচ্ছে এই সুযোগ দেওয়া হলে বাজার মেনুপুলেট (কারসাজি) ও বাবল হবে। আমরা কোন অর্থ খুজে পাচ্ছি না এটাতে কিভাবে বাজার বাবল হবে, বলেন রকিবুর রহমান।
এ সময় তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ কিছু তো না। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে পুঁজিবাজারকে আনতেই হবে। আর একটি কথা- আমরা যদি ব্যক্তি বিশেষকে শিল্পায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার উপরে ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত রিসিডিউল (ঋণ পুনঃতফসিল) করতে পারি,
তাহলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর জন্য এ কাজটি (বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো) কারতে পারি না। আমরা টাকা চাচ্ছি না, সহায়তা চাচ্ছি না, কোন ফান্ড চাচ্ছি না। আমরা শুধু পলিসি সাপট (নীতি সহায়তা) চাচ্ছি। এখন যেভাবে আইন, নীতিমালা করা হয়েছে, সেখানে বাজার বাবল করার সুযোগ কোথায়? |
b93bfe1c-edc1-44b0-8374-c01c580ec759 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা। গত এক মাস ধরে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এই বাজারে খরা কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না। ধারাবাহিক পতনে সূচক লেনদেনের পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। চলমান এ পরিস্থিতিতে পুঁজি হারিয়ে আবারো পথে বসতে চলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ার বাজার একটা স্পর্শকাতর বাজার। দেশে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই তা পুঁজিবাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। বর্তমান বাজার পরিাস্থতিতে বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব, স্থায়ী বিনিয়োগ না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সম্পূর্ণ নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও ব্যাংকের এক্সপ্রোজাল লিমিট বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দরপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করছে বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে গত ১১ কার্যদিবস ধরে পতন অব্যাহত আছে দেশের পুঁজিবাজারে। এরই ধারবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক কমেছে। দরপতন হয়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। তবে উভয় বাজারে আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত চার কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতন অব্যাহত আছে। গত ২১ এপ্রিল ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ১৬৭ কোটি।
অর্থাৎ টানা চার কার্যদিবসে বাজার মূলধন ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১২ কোটি বেশি। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৩১ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটেরর লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তত আছে ৪৮টি প্রতিষ্ঠনের শেয়ার দর।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৬১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯৬৩ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২০০ পয়েন্টে,
সিএসপিআই সূচক ১০১ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ১৯২ পয়েন্টে এবং সিএসআই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির শেয়ার দর। |
cc90683e-0542-410b-af62-50e85899e293 | অধিকাংশ ঘটনাতেই খুনিরা ধরা পড়েনি। প্রশ্ন উঠেছে, তাদের নেটওয়ার্ক গোয়েন্দারা খুঁজে পাচ্ছে না কেন? গোয়েন্দাদের অনেকেই তো বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। সেই প্রশিক্ষণ কাজে আসছে না কেন? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তেই কি অবহেলা রয়েছে?
কমপক্ষে ৬ মাস ধরে পরিকল্পনা। এরপর ঘটনাস্থল পর্যাপ্ত পরিমাণে রেকি করা। সবশেষে টার্গেট করা ব্যক্তিকে তার বাসায় বা পথের মধ্যে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে, মাথায় কুপিয়ে হত্যা। গত আড়াই বছরে এভাবেই অন্তত এক ডজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। খুন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ব্লগার, মুক্তমনা লেখক, মানবাধিকার কর্মী।
এসব হত্যাকাণ্ডের কোনটিরও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দারা। তথ্য মিলছে না মূল হোতাদের বিষয়ে। খুনি চক্রও শনাক্ত হচ্ছে না। কেন এমনটি হচ্ছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খুনি চক্রের শেকড় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
কিলিং মিশনে যারা অংশ নিচ্ছে তাদের দু-একজন ধরা পড়লেও তারা মূল হোতাদের ব্যাপারে কোন তথ্যই দিতে পারছে না। তারা শুধু একজনকেই চেনে। আর যাকে চেনে বলে নাম পরিচয় দেয় সেটিও নকল। ফলে খুনিরা যে তথ্য দিচ্ছে তা নিয়ে সামনে এগুনো যাচ্ছে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘টার্গেট কিলিংয়ে যারা অংশ নিচ্ছে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারছে না। আসলে গণতন্ত্রের একটা নমনীয়তা আছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে কাউকে ধরেই তো মেরে ফেলা যায় না। বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে শাস্তি দিতে হয়। সারা বিশ্বে এই দূর্বলতার সুযোগ নেয় অপরাধীরা। এখানে পৃথক ট্রাইব্যুনাল করে এই অপরাধীদের বিচার করতে হবে।
এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দাদের দায় নেই এটা বলা যাবে না। আবার তারা হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে সেটাও বলা যাবে না। এখন যেটা হচ্ছে সেটাকে আর স্লিপার সেলের কাজ বলা যাবে না। এটা তো আসলে কিলিং সেল।
আগে একটা সময় ছিল আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে তটস্থ ছিল। তাদের অপরাধে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। আমরা তো সেই সন্ত্রাসীদের উত্খাত করতে পেরেছি। একটা সময় এই খুনিদেরও উত্খাত করা সম্ভব হবে। তা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ জন্য আমাদের নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। সেভাবে মিশন নিয়ে কাজ করলে ওদের ধরা সম্ভব।’
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ব্লগার ওয়াসিকুর রহমান বাবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই খুনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার তাফছীর বিভাগের ছাত্র জিকরুল্লাহ ওরফে জিকির ও মিরপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার এবতেদীয়া শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমানকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন কয়েকজন হিজরা।
যদিও ওই দুই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পরে দাবি করেছে, ওরা তাদের ছাত্র না। এই দুই খুনিকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কিন্তু তাদের কাছে থেকে পরিকল্পনাকারীদের ব্যাপারে কোন তথ্যই বের করা যায়নি। তারা জানিয়েছে, শুধু বেহেস্তে যাওয়ার জন্য ইসলাম বিরোধী বাবুকে তারা হত্যা করেছে। বাবুর অপরাধের বিষয়েও তারা কিছু জানে না।
এভাবেই মাদ্রাসার ছাত্রদের ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। গোয়েন্দারা এ পর্যন্ত তদন্ত করে যা পেয়েছেন তাতে দেখা গেছে, কিলিং মিশনে যারা অংশ নেবে তাদের পৃথক একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে রাখা হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা ও মহড়া শেষে তাদের কিলিং মিশনে পাঠানো হচ্ছে। সফলভাবে তারা সে মিশনও শেষ করছে। উগ্রপন্থীরা যাদের খুন করবে তাদের একটা তালিকাও তৈরি করেছে। সেই তালিকা ধরেই তারা খুন সংঘটিত করছে।
গত আড়াই বছরে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী, ব্লগার নাজিম উদ্দিন সায়েম, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, ড. অভিজিত্ রায়, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, নিলাদ্রি চট্টপধ্যায়, অনন্ত বিজয়সহ অন্তত ১২ জন ব্লগার, মুক্তমনা লেখক, শিক্ষকসহ ক্ষুদ্রগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা ব্যক্তি খুন হলেন।
অধিকাংশ ঘটনাতেই খুনিরা ধরা পড়েনি। প্রশ্ন উঠেছে, তাদের নেটওয়ার্ক গোয়েন্দারা খুঁজে পাচ্ছে না কেন? গোয়েন্দাদের অনেকেই তো বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। সেই প্রশিক্ষণ কাজে আসছে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তেই কি অবহেলা রয়েছে? বা গোয়েন্দারা কি হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে?
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন কয়েকভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপ ব্যস্ত অবৈধ অর্থ উপার্জনে। আরেক গ্রুপ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বড় পদ নিয়ে বসে আছে। অনেকেরই রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব। স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আরেক গ্রুপ রয়েছে কোনঠাসা অবস্থায়। আর একটি গ্রুপ যারা সংখ্যায় খুব নগন্য তারা মন দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে ইসরাইল ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তত্পরতা রয়েছে বাংলাদেশে। একটি ইসলামী সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোসাদের অনুসারীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে।
এ নিয়ে এখন বিস্তারিত তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে আরো খুন হতে পারে। এই চক্রান্তে এমন সব পরিবারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা ওদের নেটওয়ার্ক ধরে ফেলতে পারব। সব হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হবে। খুনিরা সবাই ধরা পড়বে।’
উগ্রবাদীদের নিয়ে কাজ করা একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘উগ্রবাদী গোষ্ঠী এতটাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে, তারা মুহুর্তেই নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করে ফেলে। আর যাদের এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে তারা ধর্মের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তাদের বিশ্বাস যাদের হত্যা করার জন্য তাদের পাঠানো হয়ে, সেটি করতে পারলে মৃত্যুর পর তারা বেহেস্তে যাবে। আসলে যাদের জীবনের মায়া নেই তারা রোখা কঠিন। এরা ধর্মীয়ভাবে অন্ধ। এই বিকৃত মস্তিস্কের মানুষদের সচেতন করতে না পারলে এই কিলিং বন্ধ করা কঠিন হবে।’
সর্বশেষ গত সোমবার রাজধানীর কলাবাগানে খুন হওয়া জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়ের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘কোথায় আঘাত করলে দ্রুত মৃত্যু হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েই খুনিরা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়েছে।
এ ধরনের আঘাতের পর কারও পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। একই স্থানে উপর্যুপরি কয়েকটি আঘাত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘শুধু এই হত্যাকাণ্ড নয়, আগের হত্যাকাণ্ডগুলোতেও খুনিরা একইভাবে কুপিয়েছে। দেখে মনে হয়, সবকটি খুনই একই গ্রুপের কাজ।’সুত্র: ইত্তেফাক |
ecdafbfc-6ab9-4a32-9905-2a34f12eb53b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় হামলাকারীদের কোপানোর ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা পেশাদার খুনি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ। ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ ও প্রভাষক প্রদীপ কুমার সাহা দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। দুজনের মরদেহ তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা পেশাদার খুনি। আমরা অনেক ময়নাতদন্ত করেছি, কিন্তু এমন আঘাতজনিত অবস্থায় আর কোনো মৃতদেহ পাইনি।’ তাদের হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলি সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, ইউএসএআইডির কর্মী জুলহাজ মান্নানের মাথা ও ঘাড়ে পাঁচটা কোপ দেয়া হয়েছে। আর জুলহাসের বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়ের মাথায় তিনটা কোপ, ঘাড়ের ডান দিকে একটি কোপ ও বামদিকে একটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। উপর্যুপরি কোপানোর পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছেন বলেও জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে লেক সার্কাস এলাকায় পার্সেল দেয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ (৩৫) ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে (২৬)। এতে আহত হয়েছেন আরো তিনজন। জুলহাজ বাংলাদেশে সমকামীদের একমাত্র ম্যাগাজিন ‘রূপবান’-এর সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের সময় টহল পুলিশের একটি পিকআপ ওই এলাকার তেঁতুলতলা গলি দিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু তারা তাদের ধরতে পারেননি। উল্টো তাদের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কলাবাগান থানা পুলিশের এএসআই মোমতাজ হোসেন।
কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী পরিচয়ে পার্সেল দেয়ার কথা বলে জুলহাজ মান্নানের বাসায় ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এরপর আনুমানিক ১০-১৫ মিনিটের হামলায় দু’জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে ও তার এক বন্ধুকে হত্যা করা হয়। পরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে তারা চলে যায় বলে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন।
সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটিকে টার্গেট কিলিং বলেই মনে হচ্ছে। জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’ |
1590e3ff-c953-4fce-a352-73c48cd88d9d | শহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবশেষে পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে নীতি সহয়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের ধারনকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা নমনীয় হলেও এই মুহুর্তে সময়সীমা বাড়ছে না।
তবে কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রি না করেই, আইনি সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্যবাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু নীতি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো সেল প্রেসার সৃষ্টি হবে না এবং বাধ্য হয়ে কোনো ধরনের সেল করার কোনো প্রয়োজন হবে না। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ানো হবে না।
এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ও সহকারী মুখপাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মোকাম্মেল জানান, সময় বাড়াতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। যা এ মূহুর্ত্বে সম্ভব নয়। অর্থাৎ এক্সপোজারের সময় বাড়ানো হচ্ছে না। এছাড়া এক্সপোজারের সংজ্ঞা নির্ধারণে আইন যা বলা রয়েছে আপাতত তাই থাকছে বলে জানান তিনি।
তিনি সংবাদিকদের জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সহায়তা দিয়েছে। এক্ষেত্রে এক্সপোজারের উপাদান বা কমপোনেন্ট হিসাবায়ন কিছুটা পুন:বিন্যাসসহ কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে,পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর ধারণকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রয়না করে আইনি সময় সীমার মধ্যে নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু নীতি সহয়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগের (এক্সপোজার) উপাদান হিসাবের ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাসসহ কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো বিক্রয় চাপ সৃষ্টি হবে না এবং এ ধরনের বিক্রয় করার কোনো প্রয়োজন হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানির সংশোধিত আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে। সেটি সমন্বয় করতে আইন অনুযায়ী সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে নীতিগত সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজারের টানা ধস দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। গত কয়েকদিনে পতনের ভয়বহতা এত ছিল যে এক্সপোজারের সময় বাড়ানোর বিধি-বিধানের বাধ্যবাধকতার কারণে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। |
43ab781c-e112-4cc5-9ccc-fde321f2be05 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে ‘কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার’ বা ‘কিউআইও’ নীতিমালা ২০১৬-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে বুধবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭০তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ নামে নতুন বাজার গঠনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
বিএসইসির ওই অনুমোদন অনুযায়ী, স্বল্প মূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। আর স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন। এরই অংশ হিসেবে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিল বিএসইসি।
খসড়া এ নীতিমালার ওপর জনমত যাচাই শেষে পরিমার্জন বা সংশোধন শেষে তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বিএসসি। জনমত যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই নীতিমালার খসড়া একটি ইংরেজি, একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশের পাশাপাশি বিএসইসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝাবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে।
স্বল্প মূলধনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিং-এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।
এই বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ডিমেটারিয়ালাইজ (অজড়) আকারে হবে অর্থাৎ শেয়ার কাগুজে হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো। আর শেয়ার লেনদেন হবে স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে। |
4f59ca95-34ed-410d-9125-04e080f5ca86 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ নির্ধারন করা হলেও তা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল অবদুল মুহিত। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারের হার কমেছে। তিনি বাজেট বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়ানো এবং রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষকে আরো সক্রিয় হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষন সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উপস্থাপনের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহকর্মী চার জাতীয় নেতা, ভাষা আন্দোলনের শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের গত মেয়াদের শুরুতেই ‘রূপকল্প-২০২১’ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা প্রণয়ন করেছিলাম ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১’। যার আওতায় প্রণীত হয়েছে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছে। আমি চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতাসহ প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে আমাদের আর্থ-সামাজিক অর্জনসমূহ আপনার মাধ্যমে এই মহান সংসদকে অবহিত করেছি।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সূচকে আমরা যেসব লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য অর্জন হলো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমাদের বিশ্ব স্বীকৃতি। কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হওয়া। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের চলতি মেয়াদে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় প্রথমেই বিগত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদন করতে চাই।
এর পাশাপাশি অগ্রাধিকার দিতে চাই বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও এর দক্ষতার উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কর্মসৃজন, দারিদ্র ও অসমতা দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বৃদ্ধি, পরিকল্পিত নগরায়ন এবং টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের উপর।’
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের সামষ্টিক অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতির অবস্থা তুলে ধরে মুহিত বলেন, ‘বিবিএস-এর চুড়ান্ত হিসেব মতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা সমতুল্য দেশগুলোর একই সময়ের প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেশি। চলতি অর্থবছরে আমরা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম ৭ শতাংশ। এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ সবাই প্রক্ষেপন করেছে যে, প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএমএফ বলেছে তা হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে আমরা নিশ্চিত যে, আমাদের প্রবৃদ্ধি এই বছরে হচ্ছে ৭ শতাংশের সামান্য বেশি।’
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের শুরুতে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগে কিছুটা স্থবিরতা দৃশ্যমান হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ, মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ঋণপত্র খোলার প্রবৃদ্ধি ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অন্ত:প্রবাহ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই স্থবিরতা দূরীভূত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক উদ্বেগের প্রশমন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি-পরিবহনসহ ভৌত অবকাঠামো খাত ও দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের চলমান উদ্যোগ ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করবে বলেও আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস, সরকারি খাতে বেতন বৃদ্ধি ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নত অর্থনীতির দেশসমূহে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আমাদের রপ্তানি খাতকে সচল রাখবে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ কার্যকর হওয়ায় তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ পরিস্থিতি ও কর্ম পরিবেশের উন্নয়নে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে, যা একদিকে আমাদের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে এবং অন্যদিকে নীট রপ্তানি চ্যানেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের প্রবাস আয় বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য কমেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিগত সময়ের তুলনায় শ্রমিকদের অভিবাসন অনেকখানি বেড়েছে। আমার বিশ্বাস, এতে করে অচিরেই প্রবাস আয়ের প্রবাহে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’
অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দেশে সামষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য চলকসমূহের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত অগ্রগতির একটি সংক্ষিপ্ত খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কর রাজস্ব আদায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, মোট সরকারি ব্যয় ৭৬ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা হতে শূণ্য দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৬২২ কোটি টাকা,
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিগত অর্থবছরের প্রথমার্ধের ১৭ হাজার ৮ কোটি টাকা হতে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। আইএমইডি’র তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, যা বার্ষিক মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক শূণ্য শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি আয় বিগত অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, সামগ্রিকভাবে আমদানি ঋণপত্র খোলা ১ শতাংশ হ্রাস পেলেও মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ২৯ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ডিসেম্বর ২০১৫ মাসে ব্যক্তিখাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ;
বিগত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রবাস নিয়োগের সংখ্যা ২ দশমিক ২ লাখ হতে উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি (৪৩ দশমিক ২ শতাংশ) পেয়ে ৩ দমমিক ১ লাখে দাঁড়িয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ডিসেম্বর ২০১৪ সময়ে ছিল প্রায় ২২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,
যা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বর ২০১৫ সময়ে প্রায় ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ ৭৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ১ হাজার ১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বর ২০১৪ এর ৬ দশমিক ১১ শতাংশ হতে ডিসেম্বর ২০১৫ সময়ে ৬ দমমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত (জুলাই-ডিসেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি সরকারের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয় পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ)।
ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত মোট রাজস্ব আহরিত হয়েছে ৭৭ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি এবং বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ। রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ না হওয়ায় রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কারণ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত অর্থবছরের শেষদিকে রাজস্ব আদায়ের গতি বৃদ্ধি পায়। রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের যে সমন্বিত উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি তা চলমান রয়েছে। ভ্যাট আইন ১লা জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলছে।
এছাড়া, কর-বহির্ভূত উৎস হতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযোজ্য হারসমূহ যৌক্তিকীকরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহকে উদ্বুদ্ধ করতে অর্থ বিভাগের পক্ষ হতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর অনুবৃত্তিক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে কর-বহির্ভুত রাজস্ব আহরণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি তুলে ধরে মুহিত বলেন, ‘চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১৭ দশমিক ২ শতাংশ), যার মধ্যে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য ব্যয় ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১১ দশমিক ৫ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় ৯৭ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি’র ৫ দশমিক ৭ শতাংশ)।
সাময়িক হিসেবে দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৭৬ হাজার ৬২১ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ২৬ শতাংশ), যার মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় ৫৯ হাজার ৫৪ কোটি টাকা (বরাদ্দের ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় ১৭ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১৮ দশমিক ১ শতাংশ)।
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য ব্যয় ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য ক্রমহ্রাসমান। তেলের মূল্যের এই নিম্নমুখী প্রবণতার প্রভাবে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক অবস্থা বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৩ শতাংশ (নিজস্ব অর্থায়ন প্রকল্প ব্যতীত), ব্যয়ের হিসাবে যা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। আইএমইডি’র এই হিসাব বিবেচনায় নিলে প্রথমার্ধে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রবৃদ্ধি হলো ১ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প সাহায্য ব্যবহার হয়েছে মোট বরাদ্দের ২০ শতাংশ। বিগত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ শতাংশ।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো এবং অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অত্যধিক ব্যয়ের প্রবণতা হ্রাসের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশন ও বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সমন্বিত যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা আরো জোরদার করা দরকার। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প সমাপ্তির জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করা ছাড়াও নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া জরুরী।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহৎ ১০টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির একটি বড় অংশ ব্যয়িত হয়। এ ১০টি বৃহৎ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আইএমইডি’র হিসাবে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়গুলো ১৭ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যা প্রদত্ত বরাদ্দের ২৫ দশমিক ১ শতাংশ।
কৃষিখাত হলো দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। কৃষিখাতের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহকৃত কৃষিঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিগত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে মোট ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য রয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণের এ প্রবাহ চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।’
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে জনগণের ক্রয়ক্ষমতাকে সমুন্নত রাখতে সরকার সদা সচেষ্ট। এ বিষয়ে আমাদের রয়েছে বিরাট সাফল্য। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বর ২০১৪ শেষে ছিল প্রায় ৭ শতাংশ, যা ডিসেম্বর ২০১৫ শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে আমরা মূল্যস্ফীতির বছরভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির হার এখন লক্ষ্যমাত্রার সমান।
মূলত: খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বর ২০১৪ সময়ের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হতে ডিসেম্বর ২০১৫ সময়ে ৬ দমমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস, কৃষিখাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ও সন্তোষজনক খাদ্য মজুদ, অনুকূল মুদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে দেশব্যাপী পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বিধায় সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো কমবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘একজন অত্যন্ত আশাবাদী মানুষ হিসেবে আমি সবসময়ই এমন এক বাংলাদেশের কথা তুলে ধরতে চাই, যা হবে সত্যিকারভাবেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা। আমরা আমাদের স্বপ্নকে শুধু কথামালার মধ্যে আবদ্ধ না রেখে প্রধানমন্ত্রী’র দূরদর্শী নেতৃত্বে ক্রমান্বয়ে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।
আমি আশা করি, আমাদের অর্থনীতির অন্তর্গত শক্তি, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অভিঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সুচিন্তিত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অর্থনীতির প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে রূপকল্প-২০২১ এর অভীষ্ঠ লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’ অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের আমদানি-রপ্তানির গতিবিধিসহ অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। |
c8cb64cc-7699-4421-ac09-69bdc75ff23e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বিচ হ্যাচারির উৎপাদন বন্ধ থাকায় দু:চিন্তায় পড়েছেন এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা। তারা কোম্পানির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য টেকনাফে বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের কিছু জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার।
সপ্তাহের শুরুর দিকে হ্যাচারির মূল স্থাপনা ভাঙা পড়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিচ হ্যাচারি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচ হ্যাচারি জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মহেশখালীপাড়া এলাকায় সাগরপাড়ে ৯ দশমিক ২ একর জমির ওপর তাদের হ্যাচারি।
মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য গত বছরের আগস্টে স্থানীয় জেলা প্রশাসন কোম্পানির কেনা এ জমির কিছু অংশ অধিগ্রহণের নোটিস দেয়। এতে হ্যাচারির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে মর্মে ভূমি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে তা বন্ধের আবেদন জানায় কোম্পানি, যা গৃহীত হয়নি। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত ৬৮৫ ফুট দীর্ঘ ও ১০০ ফুট চওড়া জমির ওপর কোম্পানির সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
এর মধ্যে রিজার্ভার ট্যাংক, ইউভি হাউজ, ওয়াটার পাম্পহাউজ, ওভারহেড ট্যাংকসহ হ্যাচারির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থাপনাও ছিল। এ কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কোম্পানি। তবে পোনা উৎপাদন ও বিপণনে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবারো উৎপাদন কর্মকাণ্ড শুরুর ঘোষণা দেয় বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
এ বিষয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যেতে হলেও আমাদের কমপক্ষে এক বছর লেগে যাবে। হ্যাচারির মূল স্থাপনার ওপর দিয়েই মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে। এ রাস্তার কারণে হ্যাচারির জমির সিংহভাগই সাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখানে মাটির নিচ দিয়ে পাইপ টেনে হ্যাচারিতে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব।
তবে মূল কিছু স্থাপনা পুনর্র্নিমাণসহ এজন্য ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে। বিকল্প হিসেবে আমরা সোনারপাড়া হ্যাচারি জোনে কোনো হ্যাচারি অধিগ্রহণ করে সেখানে কার্যক্রম শুরুর কথাও বিবেচনা করতে পারি। তবে সেখানে খরচ আরো বেশি হবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশে দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। রিজার্ভার অক্ষত থাকলে সহজেই আমরা বর্তমান হ্যাচারিতে গুছিয়ে নিতে পারতাম।
২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। কোম্পানিটি চিংড়ির পোনা উৎপাদন ও বিপণন করে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে তাদের পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
রিজার্ভে আছে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৩৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৪৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় বিচ হ্যাচারি। বছর শেষে কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ২ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২০১৩ সালে যা ছিল ৩ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি লোকসান ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৯৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯১ পয়সা। |
7c6df2c2-5c05-4790-b45f-5d9554519e89 | ইসমাত জেরিন খান: এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, পুঁজিবাজার এখন জুয়াড়ীদের দখলে। কেননা প্রতিদিনই হতাশায় দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আর এই সুযোগে পুঁজিবাজারে একটি বিশেষ মহল গুজব নির্ভর সংবাদ ছড়িয়ে বাজারকে অনেকবারই কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহজুড়েই বিনিয়োগকারীদের কাছে গুজব ছড়ানো হয়েছিল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে এক্সপোজার লিমিটের সময় বাড়ানো না হলেও গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর ধারণকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রি না করে আইনি সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য কিছু নীতি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যার মধ্যে প্রধান সিদ্ধান্ত হচ্ছে এক্সপোজারের কম্পুনেন্ট বা উপাদান হিসাবকরণ কিছুটা পুনর্বিন্যাসসহ কিছু অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের সাবসিডিয়ারি মূলধন বৃদ্ধি করা হবে। গতকালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে। শুধু মূলধন বাড়িয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ পাচ্ছে সাধারণ বিনিয়োকারীরা।
এদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেছিলেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা এই মুহূর্তে বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। যা সময়ের দাবি।
মূলধন বাড়িয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ দেয়া হলেও পুঁজিবাজারে কারসাজিকারীদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েই গেছে। এর আগে সময় বাড়ানোর কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে কোনো সময় বৃদ্ধি করেনি।
বরং শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ আগের মতোই রিটেইন আর্নিংসের পঁচিশ শতাংশ হতে পারবে বলে মত দেয়। বাজারে এই সিদ্ধান্তের পর এর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে বিভিন্ন মহল। বাজারে যার সুযোগ নিচ্ছে কুচক্রী মহল। তারা প্রায়ই গুজব রটাচ্ছে ব্যাংকের বিনিয়োগ সময়সীমা নিয়ে।
এ কারণে পুঁজিবাজারে কয়েকদফা বাজারের উত্থান-পতন দেখা যায়। যেখানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক নেমে আসে ৪ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে। এদিকে একটানা সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় যখনই বাজারে এ ধরনের সংবাদ আসে তখনই বিশেষ মহল সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে।
নতুন করে পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংস্কার এবং অতিরিক্ত প্রিমিয়ামে যেসকল কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসছে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেন পুনরায় এধরনের ঘটনা ঘটছে। এর আগে যখন প্রথম বুকবিল্ডিং পদ্ধতি চালু হয় তা সঠিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
আর একারণে অনেকটা চাপের মুখেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বন্ধ করতে হয়েছিল বুক বিল্ডিং পদ্ধতি। সর্বস্বান্ত হয়েছিল অনেকেই। আর সুযোগ গ্রহণ করেছিল বাজার লুটকারীরা।এখন আবার নতুন করে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংস্কার করা হলেও অতিরিক্ত প্রিমিয়ামে শেয়ার ছাড়ছে কোম্পানিগুলো। যা বাজারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য নেতিবাচক দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধস ভুলবার নয় বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের মামলার সঠিক বিচার হওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এখনও ২০১০ সালের মামলাগুলো ঝুলে রয়েছে। সঠিক কোনো বিচার পায়নি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি যারা আসামী হিসেবে আছে তারা সত্যিই দোষী হলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা আর যারা নির্দোষ তাদের খালাস করে দেয়া।
কয়েকদিন আগে সিকিউরিটিজ প্রমোশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড- এসপিএম-এর শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে ২ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
মামলার আসামি এসপিএমের চেয়ারম্যান শেলী রহমান ও প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সৈয়দ মহিবুর রহমান। মজার বিষয় মামলার শুরু থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। ২০০৪ সালে বিএসইসির তৎকালীন সদস্য মোহাম্মদ আলী খান ও পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বিএসইসির পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন।
তবে এধরনের অনেক মামলা এখন হাইকোর্টে স্থগিত রয়েছে। অনেকে ১৯৯৬ সালের মামলার আসামী হয়েও পুঁজিবাজারের প্রধান নেতৃত্বের জায়গায় রয়েছে। এধরনের পরিবেশ পুঁজিবাজারের জন্য নেতিবাচক। যদি কেউ বাজারে নির্দোষ হয়ে থাকে তাদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। কিন্তু যদি মামলার কার্যক্রম নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লাগে তা বিনিয়োগকারী ও বাজারের জন্য নেতিবাচক।
বাজারকে সঠিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন নতুন নেতৃত্ব। পুঁজিবাজার বর্তমানে অনেকটাই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ খালি হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে নতুন নিয়োগ দেয়ার শর্ত রয়েছে। নতুন ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে। তবে সিএসই এখনও পর্যন্ত এমডির নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারে নি। আর ডিএসইর এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। দেশের প্রধান দুটো শেয়ারবাজার দীর্ঘ সময়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য থাকা বাজারের জন্য কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা বলাবাহুল্য।
এদিকে একের পর এক আইপিও পুঁজি বাজারে আনা এবং ২০১০ পরে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পার হলেও এতদিন পর আইপিও ইস্যুতে বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা যখন বাজারে চিৎকার দিয়ে বাজে আইপিও বন্ধের দাবি জানিয়েছিল তখন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও গত ২৯ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিএসইসি ও বিআইসিএম শাখা থেকে উপ-সচিব মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবহিকভাবে শেয়ারবাজারে নতুন যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে কিছুদিন যেতে না যেতেই অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম আইপিওর দামের চেয়ে নিচে নেমে গেছে। যা পুঁজিবাজারে অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। ২০১০ সালের পর ৭০টির বেশি কোম্পানি/মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজারে এসেছে। যার বেশিরভাগ কোম্পানি মানহীন। পুঁজিবাজারের অভিভাবক যখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা আর তাদের হাত ধরে যখন এধরনের ঘটনা ঘটে তখন বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থা না থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
এতকিছুর পরও বাজারে রয়েছে আশার আলো। একটু দায়িত্বশীল হলেই এধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব। তাই দরকার শেয়ারবাজারে নতুন নেতৃত্ব। পুঁজিবাজারে সরকার যতটা আন্তরিক রয়েছে সেভাবে যদি দায়িত্বশীল প্রতিটি মহল দায়িত্ব পালন করে এই বাজারের প্রতি বিনিযোগকারীদের আস্থা ফেরানো সম্ভব। এদিকে বাজেট আসন্ন। বাজেটকে কেন্দ্র করেও অনেকেই আশার আলো দেখছেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ পেলে বিনিয়োগকারীকে কর দিতে হয়। পুঁজিবাজারে যদি ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিকে নিয়ে আশা যায় তবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে দেশী বিনিযোগকারীরাও লেনদেনে আগ্রহী হবে। সেই সাথে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে আবার ভেবে দেখা দরকার রয়েছে।
এদিকে পুঁজিবাজারে অর্থ সংকট থাকলেও ব্যাংকে বিপুল অলস অর্থ দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে। এখন সময় হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাজারের প্রতি নমনীয় হওয়া। এবং শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানো।
একবারে বাড়ানো সম্ভব না হলেও যদি কয়েক ধাপে বাড়ানো হয় তাহলে একদিকে পুঁজিবাজারে যেমন ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তেমনি বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আস্থা তৈরি হবে। তাই সময় হয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ে ভাবার। বাজার নিয়ে সরকার যেমন আন্তরিক রয়েছে তেমনি প্রত্যেক মহল তাদের নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা না করে বাজারের স্বার্থে কাজ করলে বাজরের পরিবর্তন আসবেই।
লেখক : বিজনেস এডিটর, এটিএন বাংলা |
6c16fed0-c0c1-4e4d-bd52-9bcc203475df | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সমন্বয়ের (ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট) সময়সীমা বাড়ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘নীতি সহায়তা’ দেয়ার সিদ্ধান্তে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছে পুঁজিবাজার। সরকার ও সরকারের সহযোগী বিভিন্ন কর্তাদের অতীতের দেয়া বক্তব্যে ইতোমধ্যে বাজারে সৃষ্টি হয়েছে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
দেশের ৫৬ টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৮টি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টি ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা অতিরিক্ত রয়েছে। আগামী ২৩ জুনের মধ্যে এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো শেয়ার ছেড়ে দিলে তৈরি হবে আশঙ্কার। লিমিট ইস্যুতে তৈরি হয়েছে ‘প্রকট আস্থাহীনতা’।
বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা না বাড়ানো ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিইও মাহবুব এইচ মজুমদার।
সিইও বলেন, ভিন্ন মন্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ইমেজ নষ্ট করছে। যেহেতেু অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এক্সপোজার লিমিট বাড়াতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই তাদের সুস্থ পুঁজিবাজার এবং সরকারের ইমেজ বৃদ্ধিতে তা করার দরকার ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভুল করেছে। আশা করি তারা তাদের পলিসি পরিবর্তন করে পুঁজিবাজারের স্বার্থে নতুন ঘোষণা দেবে বলেন মাহবুব। পুঁজিবাজারে ‘আস্থাহীনতায় আতঙ্ক তৈরি করছে’ বলেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরান হাসান।
তিনি বলেন, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা আদৌ বাড়ানো হবে কিনা, বাড়ালেও কবে কতদিন বাড়ানো হবে, তার কোনো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের আস্থাহীনতা রয়েছে।
এমরান হাসান বলেন, শেয়ারের দাম কমলেও যদি লেনদেন বাড়ে এর অর্থ হচ্ছে পুঁজিবাজারে আস্থা নেই। বিনিয়োগকারীরা ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। দাম আরো কমবে, এমন আতঙ্কে রয়েছেন সবাই।
‘আমরা টাকা চাচ্ছি না, সহায়তা চাচ্ছি না, কোনো ফান্ড চাচ্ছি না। আমরা শুধু পলিসি সাপোর্ট (নীতি সহায়তা) চাচ্ছি।’ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সমন্বয় নিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ। গত বছরের ১৫ নভেম্বর ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, তা হয়নি।
বিনিয়োগকারীদের মুনাফা গ্রহণ সম্পর্কে বলেন, বিনিয়োগকারীরা কম মুনাফা হলেই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন, এ কারণেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর মূলে রয়েছে আস্থাহীনতা। আর আস্থাহীনতার মূলে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল সিদ্ধান্ত’ মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিইও মাহবুব এইচ মজুমদার বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চাই শুধু পলিসি সাপোর্ট। টাকা নয়, পলিসি দিলেই পুঁজিবাজার তার গতি এমনিতেই ফিরে পাবে। |
59e5bd4b-e0df-4634-bb5c-05d25a518444 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে স্মরনকালের ধসের ৬ বছরেও স্থিতিশীল হয়নি দেশের পুঁজিবাজার। উল্টো এ সময়ে ফেসবুক, মোবাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বাজারে কারসাজি হয়েছে। এতে ৮ থেকে ১০ বার ছোট ছোট ধসের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে সরকার পক্ষ থেকে নেয়া হয় নানা সংস্কারমূলক কার্যক্রম ও বিশেষ প্রণোদনা। কিন্তু তাতেও বাজারে লেনদেনের উন্নতি হয়নি।
নানা সংস্কার ও প্রণোদনার পরও বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট ও লেনদেন মন্দার কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা হ্রাস, মার্জিন ঋণে বড় অঙ্কের অর্থ আটকে থাকা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, কয়েকদিন পর পর ডিএসইর সফটওয়্যার ত্রুটি বিনিয়োগকারীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী টানতে স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বিশ্বের সব দেশেই পুঁজিবাজারে উত্থান ও পতন নিয়মিত বিরতিতে হয়। আমাদের দেশে পতনের পর বিনিয়োগকারীরা আর এদিকে আসছেন না।
ডিএসইর তথ্যে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসেই পুঁজিবাজারে ধস শুরু হয়। একদিনেই ডিএসইর তৎকালীন সূচক (ডিজেন বা সাধারণ সূচক) পাঁচশরও বেশি পয়েন্ট পড়ে যায়। তাছাড়া ৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বাজারে টানা দরপতন হতে থাকে। ফলে ডিজেন প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট থেকে নেমে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার পয়েন্টে নেমে আসে। এখনো ডিএসইর সূচকে তেমন কোনো উন্নতি নেই। বর্তমানে লেনদেন রয়েছে খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও ফের তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে।
এদিকে বাজার ধসের পর সরকার নানা সংস্কার ও প্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নেয়। এরই মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড (স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনাকে মালিকানা থেকে পৃথক) করা হয়েছে। বিএসইসির আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিএসইসিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনতে আইন পাস করা হয়েছে।
বিএসইসির নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার বসানো হয়েছে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সে ট্রাইব্যুনালে একাধিক রায়ও দেয়া হয়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজারে প্রণোদনার অংশ হিসেবে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করেছে। ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। লভ্যাংশের ওপর কর মওকুফের সীমা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জকে নানা সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এতকিছুর পর ধারাবাহিক দরপতনে সপ্তাহজুড়ে অস্থির ছিল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার। গেল সপ্তাহে প্রতিদিনই দরপতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। আর অব্যাহত দরপতনে সব ধরনের মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর। আর সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারের আশ্বাসের পরও বাড়াবে না পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের সমন্বয় সময়সীমা অর্থাৎ সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট। তবে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ শেয়ার বিক্রি না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয় করতে নীতিগত সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে এখনো কোনো সার্কুলার জারি করা হয়নি। আর মূলধন সমন্বয়ের এরকম সিদ্বান্তে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে নতুন করে তৈরি হয়েছে আস্থাহীনতা। ফলে এক দিকে চলছে ধারাবাহিক দরপতন অন্যদিকে ৩শ কোটি টাকার ঘরেই ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। আর এসব কারণে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজার ধসের সময় বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হওয়ায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখন বাজারে বেশি বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার ওপর বড় অঙ্কের অর্থ মার্জিন ঋণে আটকে থাকায় তাদের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় বাজারে নতুন তহবিল আনতে দক্ষ ও যোগ্য বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে স্টক এক্সচেঞ্জকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারের এ দুর অবস্থা থেকে উন্নয়নে প্রথম কাজ হলো পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের সমন্বয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সার্কুলার জারি করেনি। সার্কুলার হলে বিষয়টি জানা যাবে।
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। বাজারের মূল্য সূচক প্রায় ৪ হাজারে চলে এসেছে। এর মূল কারণ অনিয়ম আর নানা অপকৌশলে বাজার থেকে অর্থ বেড়িয়ে যাচ্ছে। রেগুলেটরের ব্যর্থতায় বোনাস শেয়ার ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মধ্যমে শেয়ারবাজারের থেকে শত শত কোটি টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে।
অন্যদিকে এক্সপোজার নিয়েও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন কেম্পানির অস্বাভাবিক দর উঠানামার কারণে বাজারে প্যানিক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে রেগুলেটরদের কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা দেখছি না। ফলে বাজারে ধারাবাহিক দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৪ এপ্রিল) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০৬ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮১০ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১৬৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৪ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে চার দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার ৭১১ টাকা।
একই সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। প্রতিদিন গড়ে টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩৫১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড়ে টার্নওভার কমেছে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ০৯ শাতংশ কম।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ৫৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস কমেছে ৩২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৬টির, কমেছে ২৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির আর লেনদেন হয়নি ৫টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বিগত সপ্তাহে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৬টি কোম্পানির ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৫১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। |
6bcd23cf-f13c-4c1d-a77e-a8454134cba9 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে সপ্তাহজুড়ে অস্থির ছিল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার। গেল সপ্তাহে প্রতিদিনই দরপতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। আর অব্যাহত দরপতনে সব ধরনের মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর।
আর সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দরপতন যেন শেয়াবাজারের পিছু ছাড়ছে না। অব্যাহত দরপতনের কারণে শেয়ারবাজারের মূলধন কমেছে ১৫ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮ হাজার ৫২১ কোটি এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের (এক্সপোজার) সমন্বয় সময়সীমা নিয়ে এক ধরনের গুজবে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে স্টেক হোল্ডারা এক্সপোজার লিমিট সময় সীমা বাড়ানোর দাবি করে আসছিল।
তবে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক্সপোজার লিমিট সময় সীমা না বাড়িয়ে কিছু নীতি পরিবর্তন করে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে শেয়ার সেল করা লাগবে না। ফলে সেল প্রেসার থাকবে না বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ঘোষণার পরদিনও স্পষ্ট কোনো সার্কুলার জারি না করায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও বাজারে পতন অব্যাহত ছিল। এক্সপোজারের বিষয়টি স্পষ্ট হলে বাজারের সঠিক গতিধারা বুঝা যাবে। আর এ কারণেই দরপতন অব্যাহত আছে বলে মনে করছেন তারা। যার ফলে বাজার মূলধন ধারাবাহিকভাবে কমছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন মোট কমেছে ১৫ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৪ এপ্রিল) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০৬ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮১০ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১৬৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
অপর দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৪ এপ্রিল) বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ১০১ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৯৯ কোটি টাকায়।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৪ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৯ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে চার দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার ৭১১ টাকা।
একই সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। প্রতিদিন গড়ে টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৩৫১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড়ে টার্নওভার কমেছে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ০৯ শাতংশ কম।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ৫৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস কমেছে ৩২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৬টির, কমেছে ২৫৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির আর লেনদেন হয়নি পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২২০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৫১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের চলমান মন্দা অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা স্টেক হোল্ডাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নিকট আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু এক্সপোজার লিমিট বিষয়ে নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে বললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো স্পস্ট কোনো সার্কুলার জারি করেনি। এতে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাজার মূলধনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেছন তিনি।
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। বাজারের মূল্য সূচক প্রায় ৪ হাজারে চলে এসেছে। এর মূল কারণ অনিয়ম আর নানা অপকৌশলে বাজার থেকে অর্থ বেড়িয়ে যাচ্ছে। রেগুলেটরের ব্যর্থতায় বোনাস শেয়ার ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মধ্যমে শেয়ারবাজারের থেকে শত শত কোটি টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে।
অন্যদিকে এক্সপোজার নিয়েও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন কেম্পানির অস্বাভাবিক দর উঠানামার কারণে বাজারে প্যানিক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে রেগুলেটরদের কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা দেখছি না। ফলে বাজারে ধারাবাহিক দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। |
b4fd2764-9f10-4318-b0f5-7efec7185a4e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেয়া উদ্যোগের কোন সুফল মেলেনি। কারণ বাড়তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাংক স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা না আসায় উল্টো বিভ্রান্তিতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়েছে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পলিসি সাপোর্ট দেয়ার ফলে অতিরিক্ত বিনিয়োগে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর শেয়ার বিক্রির প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু ঘোষণার আসার পরদিনই ঘটল উল্টোটা।
ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তড়িঘড়ি এই সংবাদ সম্মেলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যার কারণে বৃহস্পতিবারে প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। তবে এটি নিয়ে বিনিয়োগকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝেও কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেই এই সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বুধবারের ঘোষণায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এতদিন ধরে আমরা যা চেয়েছি বুধবারের ঘোষণায় আমরা তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি।
তিনি জানান, বিষয়টির আরও স্পষ্টীকরণ দরকার। একটি শেয়ারও আমরা কোন ব্যাংককে বেচতে দেব না। অধিকন্তু সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বাড়াতে আর যা যা করণীয় তার সবটুকুর আনুমোদন দেব আমরা। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কতিপয় লোক বিষয়টি এখনও বুঝতে পারছে না।
সময় বাড়ালে তা হতো সাময়িক আর এখন যেটা হয়েছে তা বাজারের জন্য স্থায়ী উপকার। বিনিয়োগকারীদের এখন আস্থা ফিরিয়ে আনা উচিত। সব ব্যাংকই ইচ্ছা করলে এখন নতুন মূলধন ইস্যু করে শেয়ার কিনতেও পারবে। কাজেই বিষয়টিকে সবার বুঝতে হবে।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শীর্ষ ৩০ স্টেক হোল্ডারের একজন পুঁজিবাজারকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কৌশলী বক্তব্য দিয়েছে। আমার বিনিয়োগকারীরা এতকিছু বোঝে না। সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কথাই এখন আর বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করে না।
টাইম বাড়ানোর এই দীর্ঘ নাটককে তারা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হিসাবে নিয়েছে। তাই এখন যত সুন্দর সুন্দর কথাই বলুক না কেন তাতে শেয়ার বাজারে টাকা আসবে না। তারা নীতি সহায়তার কথা বলেছে। নীতিতে কোথাও টাকা নেই। বাজারের জন্য এখন দরকার টাকা, প্রচুর টাকা। টাকার কোন কথা না বলে নীতির কথা বললে কাজ হবে না। বিনিয়োগকারীরা এখন অনেক শিক্ষিত এবং সচেতন। এটা ১৯৯৬ বা ২০১০ নয়। এখন ১০১৬ সাল। মানুষকে বোঝানো এত সহজ নয়। |
2c6a810b-1707-4371-a6e7-c4d93a6a8757 | সোহাগ রাসিফ, জবি: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ নেতারই ছাত্রত্ব শেষ এবং অনেকে বিবাহিত ও চাকুরিজীবী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সুপার ফাইভ কমিটি দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপর উপরের চাপও রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। খুব শিগগিরই সম্মেলনের মাধ্যমে জবি ছাত্রলীগের নবায়ন কমিটি গঠন করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালের ৩ অক্টেবর । এতে নেতৃত্বে আসেন সভাপতি এফ. এম. শরিফুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক এস.এম. সিরাজুল ইসলাম । মেয়াদোত্তীর্ন এই কমিটিই চালাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যাবতীয় কার্যক্রম।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্মেলনের মাধ্যমেই জবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে এবং ১০ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় এই সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হতে পারে বলে জানা গেছে ।
জবি ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভাইটাল (সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক) পদের জন্য বিভিন্নভাবে লভিং-তদবির করে বেড়াচ্ছেন অন্তত ১ ডজন ছাত্রনেতা। ভাইটাল পদ পেতে আগ্রহী ছাত্রনেতারা নিজেদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত ছাত্রলীগের পার্টি অফিস কে লোকে লোকারণ্য করে রাখেন ,তাদের নিজস্ব নেতাকর্মীদের দিয়ে ।
জানা যায় তারা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মন যোগিয়ে রখিতে বিভিন্নভাবে লবিং করে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, খুব শিগগিরই জবি ছাত্রলীগের কমিটি নবায়ন করা হবে। লবিং-তদবির করে কোন লাভ হবে না।যারা নিয়মিত ছাত্র এবং যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তারাই নেতৃত্বে আসবে।
যাদের ছাত্রত্ব নিয়ে ঝামেলা ,চাঁদাবাজ ,মাদকসেবা সহ পাশ্ববর্তী থানায় মামলা বা সাধারন ডায়েরী আছে তাদেরকে নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হবেনা নিশ্চিত করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, জবিতে ক্লিন ইমেজের নেতারাই নেতৃত্বে আসবে এবং যাদের বয়স ২৯ বছরের কম এবং যারা নিয়মিত ছাত্র তারাই নেতৃত্ব আসবে।যাদের সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে তারা নেতৃত্ব আসার সুযোগ নেই।
নতুন কামটি গঠনের ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ,এম শরিফুল ইসলাম জবি প্রতিবেদক সোহাগ রাসিফ কে জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পছন্দ অনুযায়ী জবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জবির সর্বশেষ কমিটি যাছাই-বাছাই করে দেয়ার পরেও কতিপয় নেতা কর্মীদের জন্য নানা অভিযোগে জর্জরিত হয়ে উঠেছে এই কমিটি । দেশ সমালোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা, শিক্ষকের মাথায় অস্ত্র ঠেকানো , শিক্ষিকা কে লাঞ্চিত করন , যৌন হয়রানী , চাঁদাবাজী , মাদকসেবা সহ নানা অভিযোগের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বিদায় নিতে হচ্ছে এই কমিটিকে।
জবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে- এমন সংবাদে প্রকাশ হওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠছেন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটিতে স্থান পেতে তারা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে তদবির শুরু করেছেন।
নতুন কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসের রাসেল , যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রিন্স এবং তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল, সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইবনে আহমেদ সুমন ।
সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং-তদবিরে এগিয়ে রয়েছেন যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সমাপাদক তানভীর রহমান খান, মো. মাহবুবুল আলম খান রবিন, এইচ এম কামরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাসেল ,জহির রায়হান আগুন, আনিসুর রহমান শিশির, সম্পাদক নুরুল আফসার , মো. ইব্রাহিম ডিয়ন। |
900ff1ba-d2aa-4d8e-be0c-78df7386c3ac | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা নিদিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনার জন্য কিছু নীতি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশেষে তালিকাভুক্ত আটটি ব্যাংকের যাদের পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে সেসব ব্যাংকগুলো কিভাবে তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনবে সে বিষয়ে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ ২ মে বিকেলে বিবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ব্যাংক এক্সপ্লোজার লিমিটের পরিবর্তনে নীতিগত সহয়তা প্রদানের ব্যাখ্যা দেন।
ব্যাংক এক্সপোজারলিমিটের সময়সীমা পরিবর্তন, পরিবর্ধন না কি সংজ্ঞার পরিবর্তন এমন ইস্যুতে গেল ৪ মাসের অধিকাংশ সময়ই দর পতনে ভুগেছে বাজার। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রীসহ অনেকেই সময় বাড়ানোর পক্ষ মত দিলেও গেল সপ্তাহের বুধবার নতুন করে সময় না বাড়ানোর ঘোষনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু নীতিগত সহায়তার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকসমূহের সোলো ও কনসোলিডেটেড উভয় ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতি সহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধি পাবে অপরদিকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা নেমে আইনী সীমার মধ্যে নেমে আসবে বলে মনে করেনশুভঙ্কর সাহা। বাংলাদেশ ব্যাংক সকলকে পুনরায় আশ্বস্ত করছে যে এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাংককেই তার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না।
ইতিমধ্যে তালিকাভুক্ত দুটি ব্যাংক তাদের ধারণকৃত শেয়ার এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে প্রদত্ত ঋণ সাবসিডিয়ারি ক্যাপিটালে রূপান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন জানিয়েছে। অন্য যে আটটি ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে সেসব ব্যাংককে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে ব্যাংক থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি সংক্রান্ত আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের পূর্বে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালন পর্ষদের অনুমোদনের প্রয়োজন থাকায় এই আবেদন ব্যাংক থেকে আসতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অনুমোদন প্রদানেও কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান শুভঙ্কর সাহা।
শুভঙ্কর সাহা আরো বলেন, ব্যাংকগুলোর সমস্যার ধরণ ভিন্ন বিধায় পৃথক পৃথকভাবে তাদের নীতি সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। আর অধিকতর বিবেচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখার জন্যই এ বিষয়ে এ মুহূর্তে কোনো সার্কুলার প্রদানের প্রয়োজন নেই।
এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ছে কিনা বা এক্সপোজারের যে সংজ্ঞা রয়েছে সেটি পরিবর্তন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি এতে নির্দিষ্ট সময়ের (২১ জুলাই ২০১৬) মধ্যেই ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় হয়ে যাবে। তাই আইন পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি। |
3683ce92-d524-4a0a-aa38-4ad63ce6db08 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মুখ পাত্র সাইফুর রহমান বলেন, এক্সপোজার লিমিটে সময় না বাড়িয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুলধন বাড়ানোর মাধ্যমে সমন্বয়ের যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহন করেছে তা বাজারের জরন্য ফলপ্রসু হবে। এতে বাজারে সেল প্রেসার করে যাবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজার ইতিবাচক অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াবো।
আজ বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে পুঁজিবাজার নিয়ে বিএমবিএ ও শীর্ষ স্টক ব্রোকারদের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে বাজারকে কিভাবে ভালো করা যায় তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। নতুন আইপিও বন্ধ রাখা, কোম্পানির স্পন্সর শেয়ার বিক্রি আপাতত বন্ধ রাখা, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সেল বাড়ানোর যথাযথ উদ্যোগ নেয়া বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ডিলার একাউন্টের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ আসে। আলোচনা শেষে বিএসইস’র পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
এছাড়া এক্সপোজারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো.ছায়েদুর রহমান।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিএমবিএ’র প্রেসিডেন্ট মো.ছায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ইনিশিয়েটিভ নিয়েছে তা বুঝতে হয়ত একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটা যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য আমি প্রেস ব্রিফিংয়ের পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছি।
আজকের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস ব্রিফিং নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম দিনের প্রেস ব্রিফিংয়ে আপনারা (সাংবাদিকরা) ছিলেন। এ নিয়ে একেকটি মিডিয়ায় একেক ধরণের বক্তব্য এসেছে। এতে আমরা কনফিউসড হয়ে গেছি। তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছি বিষয়টি ক্লিয়ার করার জন্য।
এক্সপোজার নিয়ে ছায়েদুর রহমান বলেন, সময় বাড়ালে আবার দুই বছর পর বা একবছর পর বিক্রির জন্য আরেকটি মাথা ব্যাথা হত। কিন্তু বিষয়টি একবারে সেটেলড হয়ে গেছে এটিই ভাল হয়েছে বলে আমি মনে করি।
এল ফলে দুটি বিষয়ের সমাধান হয়েছে, একটি হল সাবসিডিয়ারি বাড়ল অন্যদিকে বিক্রি করার যে চাপ ছিল সেটিও মাথা থেকে চলে গেল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কূলার ইস্যুটি নিয়েও বিএসইসির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি পজেটিভ নিউজ।
এটাকে যেন আমরা পজেটিভলি দেখি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের ব্রিফিংয়ের পর এখন কি পতন থেমে যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমরা বলতে পারব না।তবে আমরা মার্কেট নিয়ে আশাবাদী। |
d6dd3829-4ae1-4640-a02b-70fc262738c5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে গর হাজিরা এবং উপস্থিতিতে অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই ডিজিটাল হাজিরা (ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স) চালুর পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে চালু হতে পারে ডিজিটাল হাজিরা প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল উপস্থিতির জন্য প্রযুক্তিসহ যন্ত্রপাতির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে আগেই, এখন শুধু সংযোজন বাকি। নতুন পদ্ধতিতে, প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকালে অফিসে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার আগে অবশ্যই আঙুলের ছাপ দিতে হবে। ডিএনসিসি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) তাদের নতুন ভবনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। গুলশান-২ এ প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব অফিস হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে, অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে নতুন ভবনে যাবে ডিএনসিসি। সেখানেই কার্যকর হবে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি। ডিজিটাল উপস্থিতি সম্পর্কে ডিএনসিসির সচিব মো. নবীরুল ইসলাম জানান, আমরা নতুন অফিসে গিয়ে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি কার্যকর করবো, এর প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকা উত্তর সিটি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র আনিসুল হক। এজন্য তিনি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজও করেন। এরপরই তিনি উদ্যোগ নেন ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি চালুর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেন, সরকারি অন্যান্য সংস্থা, অধিদফতর এর মতো সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অফিসে সময় মতো আসেন না। এই অভিযোগ অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন আমল থেকেই ছিল। পরে দুই ভাগে বিভক্ত হলেও এই অভিযোগ থেকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন রেহাই পায়নি। মেয়র নিজেই বেশ কয়েকদিন সকালে বিভিন্ন দফতর ঘুরে কর্মকর্তাদের পাননি। এরপর তিনি এ ব্যাপারে কঠোর উদ্যোগ নেন।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নতুন অফিসের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সাজ সজ্জার কাজ। চলতি মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে নগর ভবনের বাইরে থাকা উত্তর সিটির সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি চালু করার চিন্তা রয়েছে নগর পিতা আনিসুল হকের। বর্তমানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫টি জোনাল অফিস রয়েছে। এর মধ্যে মিরপুরে ২টি, (১টি মিরপুর-২ এ, অন্যটি মিরপুর-১০ এ)। একটি করে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে উত্তরা, কারওয়ান বাজার এবং গুলশান-২ তে।
ডিএনসিসি’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আনিসুল হক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে অফিসে হাজিরার বিষয়ে কোন ধরনের ছাড় দেবেন না। তিনি এটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
জানা যায়, আনিসুল হক পুরাতন ভবনেই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স কার্যকর করতে চেয়েছিলেন। তবে প্রযুক্তিগত ঝামেলা এড়ানোর যুক্তি মেনে নিয়ে ও কর্মকর্তাদের পরামর্শে নতুন ভবনে তা কার্যকরে সায় দিয়েছেন তিনি। |
69ce6a49-ed07-499a-8fdb-3e786802efa5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরেও কর অব্যাহতি পেল। এর ফলে গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) মতো এবারও প্রতিষ্ঠান দুটি শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা ভোগ করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সম্প্রতি স্টক এক্সেচেঞ্জ দুইটিকে এ সুবিধা দিয়ে এসআরও ইস্যু করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এসআরওতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৬ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে দ্বিতীয় বছরও কর অব্যাহতির সুবিধা ১০০ শতাংশ প্রদান করা হলো। এর আগে ২০১৪ সালের ২৬ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে স্টক এক্সচেঞ্জের আয়কে শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তবে পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৮০ শতাংশ কর অব্যাহতির সুবিধা রাখা হয়।
সে হিসেবে চলতি বছর থেকে তাদের ওপর হ্রাসকৃতহারে করারোপ হওয়ার কথা এবং এ বছর উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ২০ শতাংশ আয়ের ওপর কর প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু এ আদেশের ফলে শতভাগ কর অব্যাহতির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছর ৪০ শতাংশ আয়ের ওপর কর, পরবর্তী বছর ৬০ শতাংশ আয়ের ওপর, এর পরবর্তী বছর ৮০ শতাংশ আয়ের ওপর ও তার পরের বছর পুরো আয়ের ওপর কর প্রযোজ্যের আদেশ বহাল রয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এনবিআর সূত্র শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, শেয়ারবাজারে বর্তমানে লেনদেন কম হওয়ায় মুনাফা কমে গেছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরসহ ৫ বছর কর অব্যাহতি চেয়ে সমপ্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে ডিএসই।
অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরণ করেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান কেবল চলতি বছর কর অব্যাহতির সুপারিশ করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থমন্ত্রী এনবিআরকে নির্দেশ দেন। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের পর সমপ্রতি এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক বোর্ড সভায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চলতি অর্থবছর সম্পূর্ণ আয়ের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়। |
d3e99858-0ae2-4a95-8d4e-dde4cb09990a | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। আজ লেনদেনের শুরুতে উর্ধ্বমুখী প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দিনশেষে ১০০ সুচকের উন্নতি হয়েছে। তবে লেনদেন আশানুরুপ না বাড়লে সামনে কার্যদিবস গুলোতে লেনদেন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা আজকের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। কারন টানা দরপতনের পর আজ প্রথম সুচকের উকি মারছে। তাছাড়া বাজার পরিস্থতি সামনের কার্যদিবস গুলোতে আরো ভাল হবে বলে আশা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
আজকের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেছেন, পুঁজিবাজার কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। সবেতো বাজারটি ইতিবাচক হলো। এটি আর দু-একদিন গেলে আরও ভালো হবে। সরকারের সব মহল থেকেই আমাদের প্রতি ইতিবাচক আন্তরিকতা প্রদর্শন করছে।
কাজেই বাজার সামনের দিনগুলোতে আরো গতিশীলতার সাথেই এগোবে ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি আজ ট্রেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে ট্রেডিং বাড়ানোর ব্যাপারে সবাই একমত হলে সামনের দিনগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য আরো সুখময় হবে বলে সবাই প্রত্যাশা করেছেন। এদিকে কোনো ধরনের শেয়ার বিক্রি না করে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ (সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট) সমন্বয়ের নীতিগত সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ফলে টানা দরপতনের পর অবশেষে ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সপোজার না বাড়ালে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে বেশকিছুদিন ধরে এমন গুঞ্জন ছিলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সপোজার সমন্বয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়। ফলে বিনিয়োগকারীদে মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো তা কেটে গেছে। ফলে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। শেয়ারবাজারে বর্তমানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে সামান্য বেশি বিনিয়োগ রয়েছে ১০টি ব্যাংকের। তা আইনি সীমায় নামিয়ে আনতে তাদের জন্য কেস টু কেস ভিত্তিতে সমাধান দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, এক্সপোজার লিমিটের সময় না বাড়িয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়ানোর মাধ্যমে সমন্বয়ের যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে তা বাজারের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। এতে বাজারে সেল প্রেসার থাকবে না।
তিনি বলেন, নীতিগত সহায়তায় অস্পষ্টতা ছিল থাকায় আজকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পুঁজিবাজারে সেল প্রেসার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বর্তমান বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের প্রতি আগের চেয়ে অনেক নমনীয় অবস্থানে এসেছে। এতে বাজারের প্রতি সংশ্লিষ্টদের অহেতুক ভীতি দূর হবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) এক শীর্ষ নেতা বলেন, ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য সময় বাড়ানোর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নীতি গ্রহণ করেছে তা যথাযথ। যদি নীতি গ্রহণ না করে সমন্বয়ের জন্য দুই বছর সময় বাড়ানো হতো, তাহলে দুই বছর পরে আবার শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ত। এই নীতি গ্রহণের ফলে এখন ব্যাংকগুলোকে শেয়ার বিক্রয় করতে হবে না। এতে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। |
f31c06e0-a13b-4fe1-96ce-b2f966bca7ec | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার। ব্যবসায়ীদের সিঙ্গেল ডিজিটের ঋণের সুদহার দাবির মুখে ব্যাংকগুলো ধীর গতিতে কমাচ্ছে ঋণের সুদহার। তবে ব্যাংকিংখাতে প্রচুর অলস তারল্য জমে থাকার কল্যাণে ব্যাংকগুলো একেবারে কমিয়ে এনেছে আমানতের সুদহার। ব্যাংকিং খাতের ঋণ আমানতের গড় সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশের নীচে অর্থাৎ ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশীয় পয়েন্টে রয়েছে। তবে ২৪টি ব্যাংক এখনো উচ্চ সুদে ঋণ বিতরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ স্প্রেড সীমা মানছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৪টি ব্যাংক তাদের আমানতের সুদহার একেবারেই কমিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সে তুলনায় কমায়নি ঋনের সুদহার। ফলে এ ব্যাংকগুলো ঋণ আমানতের গড় সুদহার ৫ শতাংশের বেশি। কোনো কোনো ব্যাংকের আছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে এটি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার। তবে নিয়মিতভাবে বেশ কিছু ব্যাংক এ নির্দেশনা না মানলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, যারা আসলে এ নিয়মটি মানতে না পারে তাদের ক্যামেলস রেটিং এর সময় এ বিষয়টি সামনে আনি। এতে তারা পিছিয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে তারা আমাদের ভর্ৎসনার স্বীকারও হয়। তবে যারা এটি মানতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে আসলে স্ট্রিকলি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় বা হয়েছে কি না তা এই মুহূর্তে আমার জানা নাই।
সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের মাসেও যা ছিল ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর আমানতের ক্ষেত্রে এ সুদহার ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানতের সুদহার মার্চ মাসে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি ২৪ ব্যাংকের স্প্রেড এখনও ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্প্রেড রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের। এরপরে রয়েছে বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ সুদ। স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশীয় পয়েন্ট। বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড সবচেয়ে কম মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ সুদ। এই খাতের ব্যাংকগুলোর ঋণের ক্ষেত্রে ভারিত গড় সুদহার ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
মার্চ মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ। স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট। বিদেশি ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ সুদ দিয়ে ঋণের বিপরীত আদায় করছে ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ সুদ।
এ খাতের ব্যাংকগুলোর স্প্রেড সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশীয় পয়েন্ট। তবে ঋণ ও আমানতের সুদের হার (স্প্রেড) ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের মধ্যে রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না ২৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এর মধ্যে ১টি সরকারি, ১৭ টিই বেসরকারি ও ৬টি বিদেশি ব্যাংক। |
5fbb51aa-f105-4e7d-8c06-e527092f2c3d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি ব্যাংকের প্রায় ১২শ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। এ ঘোষণায় বাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি ব্যাংক ১২শ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রির প্রবণতা কমে গেছে, ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের সমন্বয়সীমা বাড়াতে সরকার ও বাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের দাবির প্রেক্ষিতে, গত সোমবার ব্যাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ সমন্বয়ের নতুন নীতি সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে সাহস পাবেন। আর তারা সক্রিয় হলে বিদেশি ও ব্যক্তি পর্যায়ে বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজারের প্রতি আস্থা ও তারল্য বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে মহাধসের আগে নিয়ম ভঙ্গ করে সব ব্যাংকগুলো ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করে। এরপর গত ছয় বছরে ২০টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করলেও বিভিন্ন অজুহাতে ১০টি ব্যাংক এখনও শেয়ার বিক্রি করেনি। এরপর পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে আইডিএলসি’র নির্বাহী পরিচালক মুনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর বড় একটা ভার কমে গেলো। বিক্রির চাপ আসার সম্ভাবনা থাকবে না।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি সাপোর্টটি বাজারের জন্য যথাযথ উদ্যাগ। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সমন্বয় নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিলো, তা দূর হলো। এর ফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আসবে। এর আগে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সমন্বয় (এক্সপোজার লিমিট) সময়সীমা বাড়ানো যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর সলো ও কনসোলিডেটেড- উভয় ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতি সহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে দু’টি ব্যাংক তাদের ধারণ করা শেয়ার ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে পাওয়া ঋণ সাবসিডিয়ারি ক্যাপিটালে রূপান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তাদের এ আবেদন দ্রুত বিবেচনা করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
অন্য যে আটটি ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে, সেসব ব্যাংককে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বাড়ানো সংক্রান্ত আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর আগে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদনের প্রয়োজন থাকায়- এ আবেদন ব্যাংক থেকে আসতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে।
ফলে অনুমোদন দিতে কিছুটা সময় লাগছে। ব্যাংকগুলোর আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দ্রুত অনাপত্তি দেওয়া হবে। এ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে একদিকে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সাবসিডিয়ারির মূলধন বাড়বে, অন্যদিকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমা কমে আইনি সীমার মধ্যে নেমে আসছে। এভাবে সব ব্যাংকই আইনি সীমার মধ্যে চলে আসবে। এ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাংককেই তার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। |
e8a34753-20b8-466c-a6a6-976086876fdc | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শেষ হওয়া কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের ৭.৬১ গুণ আবেদন বেশি জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিওতে ১২ লাখ ৭০ হাজার আবেদন পড়েছে। যা কোম্পানির প্রত্যাশার চেয়ে ৭.৬১ গুণ বেশি জামা পড়েছে।
তবে কোন ক্যাটাগরিতে কত গুণ আবেদন পড়েছে আগামী ১৫ মে লটারির দিন জানা যাবে। আগামী ১৫ মে সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইন্ঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ করে কোম্পানিটি। স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় বিনিয়োগকারিদের জন্য এই সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিলো।
এদিকে, গত ৩ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিরা নিলামে নির্ধারিত টাকা জমা দেন। এর আগে নিলামে মোট ১০ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ শেয়ারের দর বিভিন্ন হারে দর প্রস্তাব করে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা দরে নয় কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয়। এর মূল্য দাঁড়ায় ৮৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বিধি অনুসারে, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (Indicative Price) থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেশি বা ২০ শতাংশ কম পর্যন্ত দর প্রস্তাব করতে পারে। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকা। এ হিসেবে এর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য দর দাঁড়ায় ৮৫.২০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দর হয় ৫৬.৮০ টাকা।
নিলাম শেষে দেখা যায়, সর্বনিম্ন সীমা ৫৬.৮০ টাকা দরে একমির শেয়ার কেনার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেনি। তবে এর কাছাকাছি দাম ৫৭ টাকা দরে দুই লাখ শেয়ার কেনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় একমি ল্যাবরেটরিজকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের জন্য ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি কাট-অফ ৮৫ টাকা ২০ পয়সায়, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য। এই শেয়ারের কাট-অফ মুল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়।
আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে এই টাকা দিয়ে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে খরচ করবে। কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
6d92e5cd-93a1-4752-92eb-fce9b5ab075f | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়ে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম। এছাড়া এদিন ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেলেও সিএসইতে সামান্য কমেছে। এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৮ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৫০৩ কোটি ৮ লাখ টাকা।
গত বুধবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৪০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়েছ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৭ পয়েন্টে এবং ২৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৬টির, কমেছে ১০৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, মবলি যমুনা, লিন্ডে বাংলাদেশ, বেক্স ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা, ডোরিন ফার্মা, কেয়া কসমেটিকস এবং ইউনিক হোটেল। অন্যদিকে সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৮২ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৮৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৫৭ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১৪২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ১৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৯৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১৭১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ৭৯টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইউনইটেড এয়ার, কেয়া কসমেটিকস, মবিল যমুনা, ডোরিন পাওয়অর, পাওয়ার গ্রিড, শাহজিবাজার পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড এবং স্কয়ার ফার্মা। |
ebb37b5f-ba5b-4a09-9df0-4d6c041bed8b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে। প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা তুলতে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। বিএসইসির বিশেষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টাকা সংগ্রহ করবে আমরা নেটওয়ার্কস। রাজধানীর একটি হোটেলে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় রোড শো সম্পন্ন করেছে। রোডশোতে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা কোম্পানির ঋণ পরিশোধ, কোম্পানির আধুনিকায়ন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজে ব্যয় করবে।
আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ রোড শোতে জানায়, ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। কোম্পানির অবকাঠামোগত উন্নয়নে (বিএমআরই) ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। কোম্পানিটি ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা দিয়ে ডাটা সেন্টার স্থাপন এবং ওয়াইফাই হটস্পট স্থাপনের জন্য ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭১ টাকা ব্যবহার করা হবে।
আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড মূলত ব্রডব্যান্ড তথা উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। গত এক দশক ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে এর নাম ছিল গ্লোবাল অনলাইন সার্ভিসেস লিমিটেড।
ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ভিডিও সার্ভিল্যান্স, ভিডিও কনফারেন্স, কল সেন্টার, ওয়েবসাইট হোস্টিংসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ারেরও অভিহিত মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে আইপিওতে শেয়ারের বিক্রয় মূল্য নির্ধারিত হবে।
কোম্পানির মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। যা এর আগের বছর ছিল ৩ টাকা ২৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভি ছিল ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগের বছর এনএভি ছিল ১৬ টাকা ৭৭ পয়সা।
রোড শোতে আমরা নেটওয়ার্কসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি যে দামে বিক্রি, সে দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির প্রস্তাব করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা যখন প্রথম শুরু করি, তখন ইন্টারনেট সেবায় আকাল ছিল। সেই ধীর গতির নেট সেবা আজ এই পর্যায়ে এসেছে। এই সেবা এখন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। তথ্য প্রযক্তি হলো বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা সেরা কোম্পানি হতে চাই। আমরা সবাইকে নিয়ে সামনে এগুতে চাই। অনুষ্ঠানে আগতদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার কায়েস হাসানসহ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আমরা নেটওয়ার্ক আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ইস্যুটির রেজিস্টারের দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, আমরা নেটওয়ার্কস তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারে এটি হবে আমরা গ্রুপের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালে এই গ্রুপের প্রথম কোম্পানি হিসেবে বাজারে আসে আমরা টেকনোলজি লিমিটেড। তখন ১৪ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৪ টাকা দরে কোম্পানিটি আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে। এর মাধ্যমে বাজার থেকে ৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।
আইপিওতে আসার আগের বছর আমরা টেকনোলজির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা। ২০১৫ সালে এটি কমে হয় ১ টাকা ৬৫ পয়সা। মুনাফা কমে যাওয়ার কারণে বাজারে শেয়ারের দামও কমে যায়। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ২২ টাকা ৭০ পয়সা, যা আইপিও মূল্যের চেয়ে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫ শতাংশ কম।।
আমরা গ্রুপ দেশের অন্যতম বড় একটি শিল্প গোষ্ঠি। এই গ্রুপের ১১ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট। গোড়ার দিকে এই গ্রুপটির নাম ছিল টেক্সাস গ্রুপ। |
6352400e-1943-4bd3-a7e9-dc42607fae2e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাসে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারীরা। এক্সপোজার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকেরে ইতিবাচক বক্তব্যে পর থেকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আতঙ্ক কাটছে কেটে গেছে। ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সুচকের উর্ধ্বমুখী প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
এদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ দরপতনের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গেল সপ্তাহে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সব ধরণের মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধনের ও পিই রেশিও। তবে দুই বাজারেই কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পহেলা মে (রোববার) সরকারি ছুটির কারণে গেল সপ্তাহে চার কার্যদিবস দেনদেন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। ফলে গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস সোমবার (২ এপ্রিল) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১৬৪ টাকায়
এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে চার দিনে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৯১ লাখ ৮২ হাজার ২২৯ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৪ টাকা।
তবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। প্রতিদিন গড়ে টার্নওভার দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড়ে টার্নওভার বেড়েছে ৮০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৫৩ শাতংশ বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০১টির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত সপ্তাহে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। |
8c3951e3-0dd5-4ac6-b441-474226220bf9 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (অ্যাপোলো হাসপাতাল) প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন পেলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য দর প্রস্তাব নেওয়া (ইরফফরহম) শুরু হবে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। আইনের শর্ত অনুসারে গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শোর আয়োজন করে অ্যাপোলো হাসপাতাল। আর গত ২৮ এপ্রিল বিএসইসির কাছে আইপিওর প্রসপেক্টাস জমা দেয় কোম্পানিটি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে শেয়ার বিক্রির দর নির্ধারণ করা হবে। আর এর উপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি ঠিক করবে ৭৫ কোটি টাকার জন্য কতগুলো শেয়ার ইস্যু করতে হবে। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানির ঋণ পরিশোধ এবং চট্টগ্রামে অ্যাপোলো হাসপাতালের একটি শাখা চালুর জন্য ব্যয় করা হবে। ইতোমধ্যে হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এটি চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে যে দামে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হবে সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে ৩০ শতাংশ শেয়ার। বাকী শেয়ার থেকে ১০ শতাংশ করে পাবে মিউচুয়াল ফান্ড ও অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা।
প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরে এসটিএস হোল্ডিংস তথা অ্যাপোলো হাসপাতালের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয় ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ২২ পয়সা। |
b247454e-ad6a-45b2-ac02-57f49aadeb02 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ শনিবার বজ্রপাতের ঘটনায় ১১ নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, ওসমান গনি (২২), সানি শেখ (১৪), লালু মিয়া (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩৯), মুকুল (৩২), মোখলেছুর রহমান (৪০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), সোহেল (১৬), আলম মিয়া (৪০), আব্দুল হালিম (৩৫) ও রবিন পাহান (৪০)।
আমাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শনিবার দুপুরে জাজিরার কাজীরহাট গ্রাতে বজ্রপাতে ওসমান গনি (২২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত ওসমান গনি জামালপুর জেলার মেলান্দ থানার মধ্যের চর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
নিহত ওসমান গনি ধানকাটার জন্য জামালপুর জেলা থেকে জাজিরা উপজেলা কাজীরহাট গ্রামে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। শনিবার সকালে ধান কাটার উদ্দেশ্যে বৃষ্টির মধ্যে বের হলে দুপুরে বজ্রপাতে মাঠের মধ্যে ধানকাটা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় মোখলেছার রহমান (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে পশ্চিম বেলপুকুর চক পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মোখলেছার রহমান ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশের একটি সড়কে বোরো ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মোখলেছুর রহমান নিহত হন। এসময় এক নারীসহ তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে ইলিয়াছ হোসেন (৪০) ও ইদ্রিস আলী (৩৫)কে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে শাহজাদপুর থানার ওসি মনির হোসেন জানান। নিহতরা হলেন, শ্যালাকাতি গ্রামের হাজী নুরু বক্সের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), ঢায়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. সোহেল (১৬) ও আবদুল হালিম (৩৫)। আজ বিকেল ৩টার দিকে ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন ওই দুইজন। এ সময় বজ্রপাত হলে তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়া, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় বজ্রপাতে রবিন পাহান (৪০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত দুই শ্রমিক জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিন পাহান পাথুরিয়া গ্রামের মৃত যোগেন পাহানের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার সকালে উপজেলার তেঘরবিশা গ্রামের পাশে একটি ইট ভাটায় কাজ করছিলেন তারা। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই রবিন মারা যান ও দুইজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারা হলেন, কুজিশহর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩০) ও নাকুরিয়া গ্রামের মুকুল হোসেন (৩২)।
এছাড়া, শ্রীবরদী উপজেলায় শনিবার বজ্রপাতে ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ষাইট কাঁকড়া গ্রামে আলম মিয়া (৪০) গাছের নিচে দাঁড়ানো অবস্থায় এবং বন্ধধাতুয়া গ্রামে লালু মিয়া (৪০) ধান কাটার সময় বজ্রপাতে গুরুত্বর আহত হন। পরে তাদের শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সানি শেখ (১৪) নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্র বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল ৬ টার দিকে ঝড়ের সময় জিউধরা ইউনিয়নের কুরুপের ধাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সানি পার্শ্ববর্তী রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ঘের ব্যবসায়ী আলম শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
জিউধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা জানান, বিকেলে ঝড়ের সময় একটি মৎস্য ঘেরের ঘেরে বজ্রপাত হলে সানি মারা যায়। নিহত সানি তার দাদু শওকত ভান্ডারীর সাথে ঘেরে যাচ্ছিলো। সানি রামপালের কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা গেছে। |
c05454ea-fd44-4684-8d39-3c08bbb0a3ec | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি চিনিকলগুলো মুনাফা করলেও বছরের পর বছর লোকসান গুনছে দেশের সরকারি ১৫টি চিনিকল। সরকারি চিনিকলগুলোর বছরের পর বছর লোকসানের পেছনে ৬টি কারণ শনাক্ত করেছে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। সম্প্রতি চালানো এক সমীক্ষায় কমিশন লোকসানের কারণ হিসেবে সরকারি চিনিকলগুলো উৎপাদন খরচ বেশি, সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লোকবল নিয়োগ দেওয়া ও সিবিএ গঠন করাকে দায়ী করেছে।
পাশপাশি আখের অভাবে সারাবছর কাজ না থাকায় বসিয়ে বসিয়ে অতিরিক্ত লোকজনকে বেতন-ভাতা দেওয়া ও ব্যাংকঋণের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়াকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর লোকসান প্রাক্কলন করা হয় ৪০১ কোটি টাকা। এর আগে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো ৩১০ কোটি টাকা ও ২০১১-১২অর্থবছরে লোকসান দিয়েছে ২৯০ কোটি টাকা। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছর সরকারি চিনিকলগুলোয় লোকসান প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা।
বিএসএফআইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি মালিকানাধীন ১৫টি চিনিকল রয়েছে। এগুলো হলো—জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড, রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড, পঞ্চগড় সুগার মিলস লিমিটেড, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেড, নাটোর সুগার মিলস লিমিটেড, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড, কুষ্টিয়া সুগার মিলস লিমিটেড, জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড, ফরিদপুর সুগার মিলস লিমিটেড, রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেড এবং কেরু অ্যান্ড কোং সুগার মিল। এগুলো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ থেকে ১৯৬০-এর মধ্যে।
এদিকে, বেসরকারি ৬টি চিনিকলের মধ্যে ৫টি চিনিকল মুনাফা করছে। এই ৫টি চিনিকল হলো—বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, নরসিংদীর পলাশে দেশবন্ধু সুগার মিলস, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইউনাইটেড সুগার মিলস ও আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল। বেসরকারিখাতে স্থাপিত ৬টি সুগার রিফাইনারির মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত পারটেক্স সুগার মিল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সরকারি ১৫টি চিনিকল যে বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে, তার মূল কারণ ৬টি। এর মধ্যে প্রথম কারণ হলো—কোনও কারণ ছাড়াই এই কারখানাগুলোয় উৎপাদিত চিনির ব্যয় বেশি। দ্বিতীয়ত, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এ মিলগুলোয় উৎপাদিত চিনির দামও বেশি। তাই বাজারে তা বিক্রি হয় না।
বিক্রি না হওয়ায় দিনের পর দিন মূলধন আটকে যাচ্ছে। আর মূলধন আটকে গেলে বাড়তে থাকে ব্যাংক ঋণের সুদের পরিমাণ। তৃতীয়ত, সরকারি চিনিকলগুলোয় ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল আখ পাওয়া যায় না। আখের অভাবে চিনিকলগুলো বন্ধ থাকে মাসের পর মাস। চিনিকল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে সারাবছরের বেতনভাতা দিতে হয়। উৎপাদন নেই, কিন্তু বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। ফলে লোকসানের পরিমাণও বাড়ছে।
চতুর্থ কারণ হলো—উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না। সারাবছর উৎপাদন হচ্ছে না। ফলে যথাসময়ে ব্যাংক ঋণও পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আর যথাসময়ে ব্যাংকঋণ পরিশোধ করতে না পরার কারণে প্রতিদিন ব্যাংকগুলোর কাছে চিনিকলগুলোর দায় বাড়তে থাকে। পঞ্চম কারণ—সরকারি চিনিকলগুলোয় প্রধান কাঁচামাল আখ চাষে চাষিদের আগ্রহ কমে গেছে।
মিলগুলোয় আখ সরবরাহ করতে সরকারি দলের আধিপত্য বিস্তার, সরকারি কর্মকর্তাদের নানা রকমের ঝুটঝামেলা এবং কলগুলোয় সরবরাহকৃত আখের মূল্য সময়মতো না পাওয়ায় আখচাষিরা আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে সারাবছর মিল চালু রাখতে প্রয়োজনীয় আখ পাওয়া যায় না। সারাবছর আখ পাওয়া না যাওয়ায় বছরের প্রায় ৯ মাসই মিলগুলো বন্ধ রাখতে হয়। এ কারণে লোকসান বাড়ে। আর ৬ষ্ঠ কারণ—আখ সরবরাহে জটিলতা, আখের দাম পাওয়া যাওয়ায় আখ চাষের বদলে চাষিরা অন্য ফসল চাষ করার দিকে ঝুঁকছেন।
এ কারণে দিনদিন আখ চাষের জমি কমে যাচ্ছে। এটিও চিনিকলগুলোর লোকসানের অন্যতম কারণ। জানা গেছে, আখ উৎপাদনের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে আখ চাষিদের মিলের মাধ্যমে যে ঋণ দেওয়া হয়, কৃষকরা সেই ঋণের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করলেও মিল কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করে না।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের শনাক্ত করা এই ৬ কারণের বাইরেও সরকারি চিনিকলগুলোয় লোকসান দেয়। তা হলো রাজনৈতিক প্রভাবে অধিক জনবল নিয়োগ। সিবিএ’র নামে দলাদলি। মিল পরিচালনায় সিবিএ নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং সিবিএ নেতার পরিচয়ে অধিক সংখ্যক জনবল মিলের উৎপাদন কাজে যুক্ত না হওয়া।
সরকারি মিলগুলোয় কাঁচামাল বা উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের জন্য যানবাহন মিলের কর্মকর্তা বা সিবিএ নেতা কর্তৃক ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা। অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের বিল আদায়। উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করণে কোনও বিপণন সিস্টেম না থাকা। মিলগুলোর লোকসানের আরেকটি কারণ পণ্যের প্রচার না থাকা।
পাশাপাশি বেসরকারি চিনিকলগুলোয় সিবিএ-এর দৌরাত্ম্য নেই। যে কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনবলও নেই। সিবিএ না থাকার কারণে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর কারও হস্তক্ষেপ নেই। বেসরকারি চিনিকলে কাজ না করে বেতন নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বেসরকারি চিনিকলগুলো যেহেতু রিফাইনারি কারখানা, সেহেতু ওখানে কাঁচামালের অভাবে কারখানা বন্ধ থাকে না। সারাবছরই মিলগুলো চালু থাকে। ফলে লোকসান গুনতে হয় না। মুনাফা করে। তবে সরকারি চিনিকলগুলো সরকারি যে পৃষ্ঠপোষকতা পায়, বেসরকারি চিনিকলগুলো তা পায় না। তারপরও অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে সরকারি চিনিকলগুলো বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি চিনিকলের লোকসানের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, চিনি কলগুলো মান্ধাতার আমলের। এসব কলে উৎপাদন ক্ষমতা কম। এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সে কারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ ছাড়া আখের সরবরাহ কম, উৎপাদন খরচ বেশি, বছরের অধিকাংশ সময় মিলগুলোর বন্ধ থাকা—ইত্যাদি কারণে চিনিকলগুলো লোকসানে চলছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মতে, চিনিকলগুলোয় শুধু চিনি উৎপাদন করে লাভজনক করা যাবে না। চিনিকলের কর্মচারীদের বছরে মাত্র ৩ মাস কাজ থাকে। বাকি ৯ মাস তারা অলস সময় কাটান। আখমাড়াই মৌসুম শেষ হলে চিনিকলগুলোয় অন্য পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। অতিরিক্ত জনবল কমাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সেতাবগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান মল্লিক বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের কোনও নেতা কাজ না করে বসে বসে বেতন নেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা নিয়ম মেনে কাজ করি এবং অন্য ১০ জনের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ‘সপ্তা’নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনবল নিয়োগে আমাদের কোনও হাত নেই। আমরা কোনও জনবল নিয়োগ দেইনা, নিয়োগ দেয় মিল কর্তৃপক্ষ।
বিএসএফআইসির হিসাব মতে, বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৪ লাখ টন। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে এর পরিমাণ ১৮ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সরকারি ১৫টি চিনিকলে উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ২০ হাজার টনের মতো। আগামী দিনে দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। ফলে দেশে চিনির আমদানি আরও বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি সুগার রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মোনেম জানিয়েছেন, সরকারি সব নিয়ম-কানুন মেনে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের অধিক হারে সুদ পরিশোধ করে ব্যবসা করি। করপোরেট ট্যাক্স দেই। তারপর ব্যবসা করা খুবই কঠিন। কোনও রকমে টিকে আছি বৈকি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পছন্দসই বেতন ভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা দেই। আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী র’সুগার আমদানি করি। এরপর ভ্যাট-ট্যাক্স তো আছেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি চিনিকলগুলোর লোকসান নানাভাবে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি চিনিকলগুলোয় চিনি পরিশোধন করা হয়। উৎপাদন নয়। ওই কলগুলোর র-সুগার আমদানি করা হয় বলে সারাবছরই মিলগুলো চালু রাখা যায়।
সরকারি চিনিকলগুলো আখের অভাবে সারাবছর চালু রাখা যায় না। তিনি বলেন, দেশি চিনি জনপ্রিয় করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আখের চিনির গুণাগুণ জানাতে বিজ্ঞাপনসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন |
e291f7c0-c315-467f-8538-0801ceb5884d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়ছে। তবে সুচক সহ সুচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর বাজার স্থিতিশীলতার আভাসে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারমুখী হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। তবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সামান্য কিছুটা কমেছে।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৫০৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৮২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবারবার লেনদেন হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৯ পয়েন্টে এবং ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১১৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- মবিল যমুনা, বিএসআরএম লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার, লিন্ডে বাংলাদেশ, ইসলামী ব্যাংক, বেক্স ফার্মা, লংকা বাংলা ফিন্যান্স, বিএসআরএম স্টিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ডোরিন পাওয়ার।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৬০ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ১১৭ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১০১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৯৮৪ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৬৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ৯০টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, মবিল যমুনা, লংকা বাংলা ফিন্যান্স, বিএসআরএম স্টিল, কেয়া কসমেটিকস, ডোরিন পাওয়ার এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। |
91bc29c7-2c44-4086-962f-c53089d2d633 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আসন্ন ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) কাছে ১৯ দফা দাবী জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আজ রোববার এনবিআরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট বৈঠকে এসব দাবী করে প্রতিষ্ঠানটি। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সিএসইর উল্লেখিত দাবীগুলো পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো:
১. পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এসএমই)তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পৃথক স্কীমের আওতায় এনে এদের জন্য নিম্নোক্তভাবে কর্পোরেট কর হার নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন: কোম্পানিগুলোর প্রথম ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূণ্য শতাংশ কর, পরবর্তী ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ কর এবং তদুর্ধ্ব আয়ের উপর ২০ শতাংশ কর আরোপ করা যেতে পারে।
২. পুঁজিবাজারে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য নতুন পণ্য যেমন: এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) ও কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কীম- এ ধরনের নতুন পণ্য করের আওতামুক্ত রাখা যেতে পারে।
৩. বিএসইসি কর্তৃক জুলাই ২০১০ তারিখ থেকে অদ্যাবধি সব লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন বাবদ গৃহীত ফি চার্জ এর উপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক কর্তন করে তা রাজস্ব বিভাগে জমা দেয়ার অনুরোধ করেছে এনবিআর।
৪. ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তালিকাভুক্ত করবে তখন তাদেরকে অন্যান্য সাধারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মতো ২০ শতাংশ কর সুবিধা দেয়া যেতে পারে।
৫. তালিকাভুক্ত মোবাইল কোম্পানিগুলোর করসীমা ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশে আনা যেতে পারে।
৬. করমুক্ত বাড়িভাড়ার মাসিক সীমা ৪০ হাজার টাকায় উন্নীত করা যেতে পারে।
৭. ইউটিলিটি বাবদ বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা আয়করমুক্ত রাখার বিধান করা যেতে পারে।
৮. ব্যক্তিগত আয়ের করসীমা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা যেতে পারে।
৯.ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করসীমা ৩৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে।
বিগত ছয় বছরের বকেয়া মূসক হিসাব ও জমা করা ব্রোকার, ডিলার ও অথোরাইজড রিপ্রেসেন্টিভদের জন্য দুরুহ বিষয় বলে প্রতীয়মান হয় বিধায় উক্ত চিঠির কার্যকারীতা ২০১০ এর পরিবর্তে ২০১৬ সাল থেকে বলবৎ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
১০. অর্থ আইন-২০১৫, ধারা-২(৩৫জি) অনুযায়ী ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্যান্য কোম্পানির আয় বছর জুলাই থেকে শুরু করার বিধান রয়েছে যা কোম্পানি আইনসহ অন্যান্য বিদ্যমান আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বিধায় এ ধারা বাতিল করা যেতে পারে।
১১. বর্তমান পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ক্রমহ্রাসমান হারে আয়কর অব্যাহতির পরিবর্তে স্টক এক্সচেঞ্জসমূহকে শতভাগ করমুক্ত রাখা যেতে পারে।
১২. স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের নিকট থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ববর্তী ০.০১৫ শতাংশ পুন:নির্ধারণ করে এরুপ কর্তিত করকে ব্রোকারেজ ব্যবসা হতে উদ্ধৃত সমুদয় আয় (গ্রস ইনকাম) এর জন্য চূড়ান্ত করদায় বিবেচনা করার বিধান করা যেতে পারে।
১৩. কোম্পানিসমূহ আয়ের উপর প্রদেয় কর কর্তন করে লভ্যাংশ দেয় বিধায় লভ্যাংশ থেকে উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল করা যেতে পারে।
১৪. করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করা যেতে পারে।
১৫. এক জুলাই, ২০১৬ থেকে শেয়ার বিক্রয়লব্ধ মূলধনী লাভের উপর নিম্নোক্ত হারে কর ধার্য করা যেতে পারে। যেমন শেয়ার ধারনকাল এক বছর পর্যন্ত হলে কর হার ৫ শতাংশ এবং শেয়ার ধারনকাল এক বছরের অধিক হলে করহার শূণ্য শতাংশ করা যেতে পারে।
১৬. সফটওয়্যার মেইনটেনেন্স ফি এর উপর উৎস কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ ও মূল্য সংযোজন কর কর্তনের হার ২ শতাংশে নির্ধারণ করা যেতে পারে।
১৭. লোকসান সমন্বয় করার সুযোগ আট বছর পর্যন্ত করা যেতে পারে।
১৮. দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মূলধন গঠন (ক্যাপিটাল ফর্মেশন) এর লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানি সমূহকে প্রণোদনা হিসেবে বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে।
১৯. মার্চেন্ট ব্যাংক সমূহের বিদ্যমান কর হার ৩৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে। |
b9711881-474f-4cbe-8128-b497e89131a5 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির মতে, অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হলে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে অফিশিয়ালি ডিএসইর অনুমোদন নেই। রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই প্রাঙ্গণে রবিবার (৮ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত বাজেট পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সকালেই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেট উপলক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাবে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। তবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা এ সুবিধাকে নৈতিকভাবে পচ্ছন্দ করি না। তাই এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর শাকিল রিজভী বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থেকে থাকলে, তা শেয়ারবাজারের জন্যও আছে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে বাধা নেই। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে অফিশিয়ালি এর অনুমোদন নেই। আর আমরা যা চাই, তা আমাদের প্রস্তাবেই আছে।
এদিকে এনবিআরের কাছে দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেয়ারবাজারের গতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবের বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকবাজেটে আলোচনায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এনবিআরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ সময় ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। |
5ed2fb15-1f2e-410f-9759-35fc4d020d73 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এছাড়া ৫ বছরের যাবতীয় রাইট শেয়ার সংশ্লিষ্ট পরিচালক এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্টন করার সুযোগ রেখে মামলা নিষ্পত্তি করেছে উচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতির নের্তৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের এক নাম্বার বেঞ্চ রোববার এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। কোম্পানিটির আইনজীবী মাছুম শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। আইনজীবী ব্যারিষ্টার মাসুম বলেছেন, আদালতের রায়ে নতুন করে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডেকে রাইট বন্টনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের এক নাম্বার বেঞ্চ এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে আরএন স্পিনিংয়ের রাইট সংক্রান্ত মামলা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হচ্ছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার। তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে কোম্পানিটি। এতে করে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড, শেয়ার হস্তানান্তর সংক্রান্ত বাধা দূর হলো।
সূত্র জানায়, কিছু পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এ মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তবে রায়ে কী ধরনের পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে তা রায়ের কপি বের হওয়ার আগে স্পষ্টভাবে জানার সুযোগ নেই। এদিকে, আর এন স্পিনিং এর কোম্পানি সচিবের সাথে এ বিষয় যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সর্বশেষ ৩৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল আরএন স্পিনিং। এদিকে, আ্ইনী জটিলতার কারণে গেল ৪ বছরে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পারে নি। ২০১১ সালে আরএন স্পিনিং ১:১ হিসেবে রাইট শেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ারের দর প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা।
২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বিএসইসি কোম্পানির রাইট প্রস্তাব অনুমোদন করে। নির্ধারিত সময়ে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা রাইট শেয়ারের টাকা জমা দিয়ে তাদের প্রাপ্য শেয়ার কিনে নিলেও এ বিষয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় কোম্পানির উদ্যোক্তারা পরিচালকরা। তারা কোনো টাকা জমা না দিয়েই ব্যাংকের জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে বিএসইসিকে জানায়, তারা ওই শেয়ার কিনেছে।
এই জালিয়াতি ধরা পড়ে গেলে বিএসইসি ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক ও উপহার দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর একে কেন্দ্র করেই শুরু হয় মামলা-পাল্টা মামলা। আর এ মামলার কারণে ২০১২ সাল থেকে কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে পারছেনা কোম্পানিটি। |
fbcf3081-910f-407c-a8ad-886eb2591668 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অাজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমে শেষ হয়েছে এ দিনের কার্যক্রম। তবে এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন গত কার্যদিবসের তুলনায় মোট লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৫২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। গত রবিবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৩৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৩ পয়েন্টে এবং ৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৭৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫২টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিএসআরএম স্টিল, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, মবিল যমুনা, স্কয়ার ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইসলামী ব্যাংক এবং লিন্ডে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৮৯ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৩৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ৯৮১ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১৩২টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা এবং এবিবি ফার্স্ট মি. ফান্ড। |
67e0d7db-4110-49f6-9ca3-458b305c105e | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) লোকসানে যাওয়ার পেছনে রয়েছে তিন কারন। হঠাৎ কোম্পানিটি খুচরা মূল্যের তুলনায় পাইকারি (বাল্ক) পর্যায়ে বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে ।
পাশাপাশি হুইলিং (সঞ্চালন) চার্জও বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসানের মুখে পড়েছে রাষ্ট্রত্তার কোম্পানিটি। এ সময় স্থায়ী আমানতের বিপরীতে সুদ বাবদ আয় কমে যাওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সম্প্রতি প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে আসে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ডেসকোর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৪ পয়সা। অথচ আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭৭ পয়সা।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সরকার পাইকারি ও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ায়। এ সময় আবাসিক ও বাণিজ্যিক শ্রেণীর গ্রাহকভেদে ডেসকোর বিদ্যুতের মূল্য দশমিক ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর মধ্যে আবাসিকে সর্বোচ্চ ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর জন্য ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এর বাইরে আবাসিকের অন্য গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৮৭ ও শিল্পে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়।
বিপরীতে ডেসকোকে পাইকারি পর্যায়ে ৬ দশমিক ৭৬ থেকে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি মূল্যে বিদ্যুত্ কিনতে হচ্ছে। এ সময় বিদ্যুতের সঞ্চালন চার্জ আগের চেয়ে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে পরিচালন পর্যায়েই লোকসানের মুখে পড়েছে ডেসকো।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের ব্যবহার ও দাম বাড়ায় ডেসকোর রেভিনিউ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে বিদ্যুত্ বিক্রি ও অন্যান্য আয় থেকে ডেসকোর মোট রেভিনিউ ছিল ৬৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এ সময়ে সঞ্চালন চার্জসহ বিদ্যুৎ কেনায় খরচ হয়েছে ৬১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, যা বিদ্যুত্ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৯৬ দশমিক ১১ শতাংশ। অথচ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে বিক্রির ৯০ দশমিক ৫৭ শতাংশ খরচ হচ্ছিল এ খাতে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে আবেদনপত্র ফি, বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, পুনঃসংযোগ, মিটার পরীক্ষাসহ অন্যান্য আয় থেকে ডেসকোর রেভিনিউ ৬৪ শতাংশ কমেছে।
বিদ্যুতের ক্রয়মূল্যের সঙ্গে পরিচালন ও অবচয় খরচ যোগ করার পর চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে পরিচালন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬৪৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ফলে এ সময় বিদ্যুত্ ক্রয়-বিক্রয় থেকে ডেসকোর লোকসান হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যদিও ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে এক্ষেত্রে কোম্পানির মোট মুনাফা ছিল ২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রশাসনিক ব্যয়ও বেড়েছে। এতে লোকসানের পাল্লা আরো ভারী হয়েছে। ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রশাসনিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বাবদ খরচ ছিল ৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৭ কোটি ২৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
ফলে এ সময়ে পরিচালন লোকসান দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি টাকায়। আগের বছরের একই সময়ে এ লোকসান ছিল ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের বছর সুদ বাবদ আয়ের সুবাদে কোম্পানিটি শেষ পর্যন্ত মুনাফায় ছিল।
তবে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সুদ বাবদ আয় ১৯ শতাংশ কমে আসায় ডেসকোর কর-পরবর্তী লোকসান দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫১ লাখ টাকায়, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল।
অবশ্য অর্ধবার্ষিক পর্যন্ত মুনাফা থাকায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে ডেসকোর ৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার কর-পরবর্তী মুনাফা রয়েছে। তবে তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা কম।
চলতি অর্ধবার্ষিক পর্যন্ত ডেসকোর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকের লোকসান শেষে প্রথম নয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সায়। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যহার একই থাকলে চলতি হিসাব বছরে ডেসকোর মুনাফা আরো কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। |
6a900b99-f823-4ef0-bbeb-efc27be9bc7b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশের শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধী গোলাম আযমের উত্তরসূরী হিসেবে ২০০০ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আসা মতিউর রহমান নিজামীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে সেই নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির।
নিজামী হলেন পঞ্চম মানবতাবিরোধী অপরাধী যার সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর হলো। একই সঙ্গে তিনি প্রথম কোনো দলীয় প্রধান ও দ্বিতীয় সাবেক মন্ত্রী একাত্তরে সংঘটিত অপরাধের জন্য ফাঁসিতে ঝুলে যার দণ্ড কার্যকর হলো। একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর (৭৩) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ১২টা ১০ মিনিটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা। পরে সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির কারাগার থেকে বের হয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘১২টা ১০ মিনিটে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।’
ফাঁসি কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন: ঢাকা জেলা প্রশাসক (ম্যাজিস্ট্রেট) সালাউদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা, ডিএমপির পক্ষে ডিসি ডিবি উত্তর শেখ নাজমুল আলম, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, ডিসি লালবাগ মফিজ উদ্দিন।
ঘড়ির কাঁটা যখন ১২টা বেজে ০১ মিনিট তখন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির তার হাতে ধরা রুমালটি ফেলে দেন। আর তখনই যম টুপি ও গলায় দড়ি পরিহিত নিজামীর পায়ের নিচ থেকে পাটাতন সরিয়ে ফেলেন জল্লাদ। এ অবস্থায় ১০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর তোলা হয়। সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা মৃত্যু নিশ্চিত করে ডেথ সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে ফাঁসির বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা চলে সন্ধ্যা থেকেই। পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রীতি অনুযায়ী কারাগার মসজিদের ইমামকে সাথে নিয়ে জেল সুপার কনডেম সেলে যান। এরপর ইমাম আসামিকে তওবা পড়ান। ফাঁসি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই আসামিকে গোসল ও ইচ্ছানুযায়ী খাবার দেয়া হয়।
এদিকে সন্ধ্যা থেকে দুই অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়। এর একটিতে নিজামীর মৃতদেহ বহন করে তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়াতে নেয়া হবে। আলবদর নেতা থেকে পরিণত বয়সে যুদ্ধাপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নেতা বনে যাওয়া নিজামী রাষ্ট্র গঠনের সরাসরি বিরোধিতা করেও গাড়িতে উড়িয়েছেন মন্ত্রীর পতাকা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী নিধন ও গণহত্যায় নেতৃত্ব দেয়া আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি মন্ত্রী পদে বসায়। আবার মন্ত্রী হয়েও জড়িয়েছেন নানা অপরাধের সঙ্গে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও পেয়েছেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরমধ্যে দিয়ে ইতিহাসের দায় ঘুচলো বাংলাদেশের, শেষ হলো নিজামীপর্বের।
বাড়তি নিরাপত্তা পাবনায়: মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে পাবনা ও সাঁথিয়াসহ জেলার সব জায়গায় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাবনা-রাজশাহী এবং পাবনা-ঢাকাসহ সব মহ্সড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব ধরনের যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান খান জানান, যদি আজ রাতেই রায় কার্যকর হয় এবং এই বিষয়টিকে কন্দ্রে করে যেকোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মতো পরিবেশ নস্যাৎ করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিজামীর দাফন যদি তার নিজ এলাকাতে করা হয় তাহলে সেখানেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতা করার বা বিশৃঙ্খখলা করার চেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে।
পরিবারের সঙ্গে শেষ দেখা: মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে নিজামীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনটি গাড়িতে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে পৌঁছান। প্রায় দেড় ঘণ্টা কারাগারের ভেতরে অবস্থান করার পর ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে চলে যান তারা।
কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নিজামীর ভাতিজি সাংবাদিকদের বলেন, তার চাচা বলেছেন, আমি শক্ত আছি, তোমরাও শক্ত থাকো।
প্রাণভিক্ষা চাইলেন না নিজামী: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নিজামীকে দিয়ে পঞ্চমজনের দণ্ড কার্যকর হলো। এরমধ্যে দুজন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার শেষ সুযোগটি নিয়েছিলেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। তবে তারা কেউ-ই রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা পাননি।
নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর তার সামনে খোলা ছিল কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ। তবে ওই সুযোগ নিজামী নেননি। সোমবারই নিজামীর আইনজীবী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন না নিজামী। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, প্রাণ ভিক্ষা চাননি নিজামী।
নিজামীর জন্ম থেকে মৃত্যু: গোলাম আযমের উত্তরসূরি হিসেবে ২০০০ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আসা মতিউর রহমান নিজামীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে। স্থানীয় বোয়ালমারি মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করা নিজামী কামিল পাস করেন ১৯৬৩ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে। মাদ্রাসার ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজামী ১৯৬১ সালে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৬৬ থেকে তিন বছর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর একাত্তরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন নিজামী। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার লড়াই তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে মূলত ছাত্রসংঘের কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় আলবদর বাহিনী। ছাত্রসংঘের নেতা হিসাবে আলবদরের নেতৃত্বও নিজামীর কাঁধে বর্তায়।
আলবদর গঠিত হওয়ার পর ২৩ এপ্রিল দৈনিক পাকিস্তানে ছাত্রসংঘের সভাপতি নিজামীর একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয়, ‘আলবদর একটি নাম, একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী সেখানেই আলবদর। যেখানে দুস্কৃতকারী সেখানেই আলবদর। ভারতীয় চরদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল।’
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর বাংলাদেশ সরকার জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমানের আমলে দেশে ফেরার সুযোগ পান জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযম। স্বাধীন বাংলায় প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফেরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি।
ওই সময় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। এরপর ১৯৮৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ওই পদে থেকে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান নিজামী। গোলাম আযম আমিরের পদ থেকে অবসরে গেলে ২০০০ সাল থেকে নিজামীর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় জামায়াতে ইসলামী।
পাবনা-১ আসন থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া নিজামীকে ২০০১ সালে মন্ত্রিত্ব দেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। প্রথমে দুই বছর কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে সরকারের পরের তিন বছর ছিলেন শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বে। ওই সময়েই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য পাচারের পথে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে, যে মামলার রায়ে গতবছর নিজামীর ফাঁসির আদেশ হয়। কন্টেইনার ডিপোর ইজারা নিয়ে গেটকো দুর্নীতি মামলারও আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী নিজামী। |
3379ef95-9146-482d-8ead-819e2503ff2c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বর্তমান পুঁজিব্জাারের দরপতনের শেষ কোথায় এই প্রশ্ন এখন লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের। তাদেরে একটাই বক্তব্যে আসলে কি পুঁজিবাজার আদৌ স্থিতিশীল হবে। না এ রকম পরিস্থিতি আরো বছরের পর বছর থাকবে। টানা ছয় বছরের দরপতনের পর কেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সহ সরকার কি আসলে আইওয়াশ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সরকার কেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে পারছে না। কেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদে থাকার কি দরকার। এ প্রশ্নগুলো খোদ বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে। শেয়ারবাজারে এখন বটম লাইন (তলানি) খুঁজছে সবাই। সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন পক্ষের একের পর এক পদক্ষেপের পরও ইতিবাচক ফল না আসায় সবার মধ্যে এখন একই প্রশ্নথ কোথায় গিয়ে থামবে এই পতন?
সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির মৌলভিত্তি এবং শেয়ারের বর্তমান দর বিবেচনায় বাজারের এ মন্দা পরিস্থিতিকে সব বিশ্লেষকই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করছেন। কিন্তু ধারাবাহিক এ পতনের শেষ কোথায় এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না কেউই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন পদক্ষেপ নিলে বাজার দুই চারদিন ভাল থাকে। ফের দরপতনের শুরু হয়ে যায়। এছাড়া আইসিবি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় অবর্তীন। যার ফলে পুঁজিবাজার সোজা হয়ে দাঁড়াতো পারছে না।এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিরব ভুমিকায় রয়েছে। ফলে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে কমতে নতুন করে নিঃস্ব হতে চলেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে নতুন বিনিয়োগ না আসার কোন কারণ নেই। কারণ বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর কোম্পানির মৌলভিত্তির চেয়ে নিচে নেমে গেছে। এখানে বিনিয়োগের ঝুঁকি অনেক কমে গেছে। বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরও বাজারে শেয়ারের দর কমছে। এর কোন যুক্তি নেই।
তিনি বলেন, বাজারে সাম্প্রতিক পতনের পেছনে কোনরকম কারসাজি থাকতে পারে। শেয়ারের দর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ার পরও কেন বিক্রির চাপ (সেল প্রেসার) আসছে এটা খতিয়ে দেখা দরকার। পাশাপাশি র্দুর্বল শেয়ারগুলোর দরবাড়ার কারন খতিয়ে দেখা উচিত।
এবিষয়ে মর্ডান সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন মুন্নী বলেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। গত দুই মাসে যে সব বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসেছিল তারা ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। বর্তমানে দেশে কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই এখন বাজার ভাল হবার কথা কিন্তু উল্ট ভাবে দরপতন হচ্ছে। এটা বাজারের জন্য জন্য সুখবর নয় ।
এবিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল রাজ্জাক বলেন, টানা দরপতনের কারনে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হচ্ছে। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শেয়ারের দর ঝিমিয়ে আছে। তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ছে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শেয়ারের দর না বাড়ার কারণে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করেছে। রাজ্জাক বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আস্থার অভাব দূর করতে হবে। রাজ্জাক আরও বলেন, সরকারকে পুঁজিবাজারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন কারসাজি চক্র আর ফায়দা না নিতে পারে। রাজ্জাক বলেন, নতুন গর্ভনরের কাছে আমাদের জোরদাবি পুঁজিবাজারের দিকে সুনজর দেন। |
82ad3dae-3583-48e0-9a51-63d110a02077 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি পুবালী ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়েছে। ব্যাংকটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে ব্যাংকটিকে আর শেয়ার বিক্রি করে এক্সপোজার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নামাতে হবে না। বরং শেয়ার বিক্রি না করে ই ব্যাংকটি আরও ১৫০ কোটি টাকা বাড়তি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, পুঁজিবজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল এর রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ৪৩ শতাংশ। ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০১৩ অনুযায়ী পুঁজিবাজারে একটি ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। এ হিসাবে তাদের বাড়তি বিনিয়োগ ছিল ১৮ শতাংশ। তবে মূল ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য নয়, নিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজকে দেওয়া ঋণের কারণে এক্সপোজার এত বেশি দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গত সপ্তাহে এক্সপোজার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে তাদের কাছে আবেদন করে। ওই আবেদনে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজকে দেওয়া ঋণ তার মূলধনে রূপান্তরের অনুমতি চাওয়া হয়। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক পূবালী ব্যাংকের এ আবেদন অনুমোদন করে।
সূত্র মতে, বর্তমানে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজে পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি। এটিকে বাড়িয়ে ৬০০ কোটিতে উন্নীত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন মূল ব্যাংকের এক্সপোজের বাইরে রাখায় পূবালী ব্যাঙকের বিনিয়োগ নেমে আসবে রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশে। ফলে ব্যাংকটি তার মূলধনের আরও ৫ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে, বর্তমান হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পূবালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সায়িদ আহমেদ বলেন, সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়িয়ে ওভার এক্সপোজার সমন্বয়ের এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী একটি সমাধান।
বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে ২ বছর সময় বাড়ানো হলে মাথার উপর শেয়ার বিক্রির একটি খাড়া ঝুঁলেই থাকতো। দুই বছর পরে হলেও ওই শেয়ার বিক্রি করতে হতো। এই ভয়ে অনেক বিনিয়োগকারী হয়তো বাজারে তেমন সক্রিয় হতেন না। এখন সে ভয় আর নেই। |
1bfcae6d-3056-4c6b-a457-4dd9fa6c4a31 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সুচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ লেনদেনের শুরুতে সুচকের নিন্মমুখী প্রবনতা শুরু হলে শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। পাশপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে।আজ ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ১৯ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স কমেছে ২৭ পয়েন্ট।
আজ উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত বুধবার উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সুতরাং গত কার্যদিবসের তুলনায় এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি ০২ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৩ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৬ পয়েন্টে এবং ৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৫৭টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- লিন্ডে বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, মবিল যমুনা, বিএসআরএম স্টিল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ডোরিন পাওয়ার, ফারইস্ট নিটিং, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শাহজিবাজার পাওয়ার। অন্যদিকে আজ সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৪৩ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৪৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ২৩২ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ৯৭২ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১১৫টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৩টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে আজ সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম স্টিল, ডোরিন পাওয়ার, মবিল যমুনা, কেয়া কসমেটিকস এবং কেডিএস এক্সেসরিজ। |
46a87ed4-79a1-43d8-a58f-a6c95c42f0d8 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) কোটা সুবিধা ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে কোটা সুবিধা পাবেন না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশ্বম্ত একটি সূত্রে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০১০ সালের দেশের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসের ফলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের জন্য পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোটা সুবিধা দেয়ার সুপারিশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১২ সাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ২০ শতাংশ করে কোটা সুবিধা প্রদান করে। এরপর থেকে প্রতিবছর বিএসইসি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে কোটা সুবিধার মেয়াদ ১ বছর করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোটার মেয়াদ বাড়িয়ে পরবর্তীতে আর বাড়ানো হবে না বলে ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোফখার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় শেষবারের মতো কোটা সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ২০১২ সাল থেকে দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুনে এ কোটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে কোটার মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৫ পর্যন্ত আনা হয়। পরবর্তীতে কোটার মেয়াদ ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের কোটার মেয়াদ আরও এক বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে বিএসইসি।
জানা যায়, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নবেম্বর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিশেষ স্কিম দেয়ার জন্য ঐ বছরের ২৭ নবেম্বর ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফায়েকুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটি ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে বিভিন্ন সুপারিশসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দের কথা বলা হয়।
এরপর ওই বছরের ৫ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস সময় বেঁধে দেয় (১ জুলাই ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩)। ৩০ এপ্রিল বিশেষ স্কিম কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে বিএসইসির কাছে জমা দেয়।
এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ২০৪টি ব্রোকারেজ হাউসের ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্যভুক্ত ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউসের ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫টি মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এতে করে সর্বমোট ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী কোটা সুবিধার আওতায় আসেন।
২০১২ সালের ২৬ জুন মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ সুদ মওকুফ এবং আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ কোটাসহ বিশেষ কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে ৩ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে কোটা বরাদ্দের সময়সীমা আরও ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ২০ শতাংশ কোটা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি আইপিওতে কোটা বরাদ্দ শুরু করে। |
7c9c5bfa-73fc-4614-ba80-c9a7d2d7fa99 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এখন আর কোন মামলা নেই। বিভিন্ন আদালতে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত পাঁচ শ’র বেশি মামলা থাকলেও হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও আপীলের কারণে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করার মতো মামলার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সব মামলাই ট্রাইব্যুনালে বিচার করা যায় না। শুধুমাত্র ফৌজদারি মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালে করা হয়ে থাকে। এর বাইরে সার্টিফিকেট মামলার বিচার সেখানে করা সম্ভব নয়।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৭ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে দায়েরকৃত মামলার হালনাগাদ তথ্য চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয় এবং বাজারে গতিশীলতা আনতে পুঁজিবাজার বিষয়ক মামলাগুলো দ্রুত ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
জানা গেছে, সর্বশেষ বিচারাধীন থাকা ১৯৯৬ সালের প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শেয়ার জালিয়াতি মামলার (মামলা নং ২/২০১৫) আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মামলাটির ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত, যা পুঁজিবাজার ট্রাইব্যুনালে ২৮ এপ্রিল দাখিল করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
ফলে ট্রাইব্যুনালে মামলাটির কার্যক্রম ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকছে। উল্লেখ্য, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১৫ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চালু হয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে ছয়টি মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলায় সাজা ও দুটি মামলায় খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে ২৪টি মামলা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি ১৮টির মধ্যে দুটি মামলা দায়রা জজ আদালতে ফেরত গেছে। আর বাকি ১৬টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে কিছু কিছু মামলায় রুলস নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ফলে ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো আর মামলা নেই।
জানা গেছে, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস লিমিটেডের বিরুদ্ধে করা মামলাটির (মামলা নং ১৫/২০১৫) উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ ২৫ এপ্রিল শেষ হয়। এর আগেই আসামিপক্ষ স্থগিতাদেশের সময় বাড়ানোর আবেদন করলে আরও এক বছর সময় দেয় উচ্চ আদালত। এছাড়া চিটাগং সিমেন্ট ক্লিংকার গ্রিন্ডিং কোম্পানির মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১৯৯২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন আদালতে ৫৩৫টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে ২৫৩টি মামলা বিচারাধীন। এছাড়া নিম্ন আদালতে করা অন্যান্য মামলার অধিকাংশই হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। |
9e10fda6-6d23-43a4-87dd-1b1c76d4a39d | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে উত্তাল পাতাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে মিশ্র প্রিতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিকে কারসাজির বাজারের লক্ষণ বলে মনে করছেন।
কারন টানা দরপতন বাজারে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়লে ও ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারের দর বাড়ছে না। এর পেছনে কোন কারন আছে বলে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন। এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাড়তি বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট শেয়ার বিক্রিচাপ সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসহায়তার ঘোষণা দেয়। এতে আগের সপ্তাহে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা যায় পুঁজিবাজারে। ফলে সূচকে বাড়তি পয়েন্টও যোগ হয়।
তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার মন্দার প্রভাব পড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমে গেছে ১০ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহের শুরুর দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকে যে পয়েন্ট যোগ হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা হারাতে হয়েছে।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ মে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না, মর্মে নীতিসহায়তার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারে বর্তমানে ১০টি ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে সামান্য বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, তা সমন্বয়ের জন্য কোনো শেয়ার বিক্রি ছাড়াই কেস টু কেস ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এপ্রিলের শেষার্ধে এ নীতিসহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই ২ মে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যায়। চলতি সপ্তাহের ৮ মে পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল বাজার পরিস্থিতি। অবশ্য এর পর থেকেই বাজারে আবারো ধীরগতি তৈরি হয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সমাপ্ত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে প্রধান মূল্যসূচকটিতে ৩৩ পয়েন্ট যোগ হয়। এতে ডিএসইএক্স সূচক ৪৩৪০ পয়েন্টে উন্নীত হয়। তবে এর পর সতর্ক বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও পুনর্বিন্যাস ও মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় বাজারে শেয়ার বিক্রিচাপ কিছুটা বাড়ে।
এ কারণে সমাপ্ত সপ্তাহের অবশিষ্ট কার্যদিবসগুলোয় সূচক কমে ৪২৯৮ পয়েন্টে নেমে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিসহায়তার ঘোষণার কারণে বাজারে যে ঊর্ধ্বগতির আশা বিনিয়োগকারীরা করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত বাজারচিত্রে কিছুটা নিরাশ হয়েছেন তারা। অবশ্য বাজারচিত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা কেউই স্পষ্ট করে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয় অবস্থাকেই দায়ী করেছেন তারা।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তারা মনে করেন, মার্চেন্ট ব্যাংক ও শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর অধিকাংশের মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়ায় শেয়ারবাজারে তাদের অংশগ্রহণ কমে গেছে, যা কাঙ্ক্ষিত লেনদেন না হওয়ার অন্যতম কারণ। এর বাইরে ব্যক্তিশ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ সাইড লাইনে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করছেন তারা।
সদ্য সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা চলতি সপ্তাহে ৩৯১ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। লেনদেনের প্রায় ২৫ শতাংশ এসেছে জ্বালানি খাত থেকে। দেশের অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই পরিস্থিতি দেখা গেছে।
ডিএসইর খাতওয়ারি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সমাপ্ত সপ্তাহে বাজারে কিছুটা মন্দাভাব থাকলেও বড় ধরনের কোনো ওঠানামা দেখা যায়নি। এ সময়ে বেশির ভাগ খাতের বাজার মূলধনও সামান্য বেড়েছে। তবে ব্যাংক ও ওষুধ খাতের দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকটি চলতি সপ্তাহে ৮ পয়েন্ট হারিয়েছে।
এ সপ্তাহে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ ও প্রকৌশল খাতের বাজার মূলধন শূন্য দশমিক ৮৯ থেকে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে ব্যাংক ও ওষুধ খাত যথাক্রমে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ দর হারিয়েছে। |
323c494f-ff2a-4e20-9467-3ffce37d0947 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে সূচক। তবে গত সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় বাজারেই লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া লেনদেন কিছুটা বাড়লে ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাজার নিয়ে আস্থা সংকট রয়েছে।
এর পাশাপাশি বর্তমান বাজারে তারল্য সংকট প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। তারল্য এবং আস্থা সংকট থাকায় বাজার সোজা হয়ে দাঁড়াতো পারছে না। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ বা ৮ পয়েন্ট। আর সিএসইতে সিএসসিএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। তবে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে প্রায় ২ পয়েন্ট। এছাড়া সিএসইর সিএএসপিআই সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট, সিএসই৩০ ১৫ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স কমছে ১৪ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার। শতাংশের দিক থেকে এ লেনদেন বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে গড় লেনদেন কমেছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে পাঁ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে চার কার্যদিবস। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৯১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৪৩৬ কোটি টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৯৭৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির।সূচক কমলেও উভয় বাজারেই বেড়েছে লেনদেন। |
f06118e8-f3e4-4b25-964a-5cd83d3ff3a7 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বজ্রপাতে শুক্রবার সারাদেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ীতে তিনজন, নওগাঁয় দুইজন, জয়পুরহাটে দুইজন, টাঙ্গাইলে দুইজন, কিশোরগঞ্জে দুইজন, ধামরায়ে দুইজন এবং চট্টগ্রাম, গাজীপুর, যশোর ও চাঁদপুরে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে দিন বৃহস্পতিবার সারাদেশে বজ্রপাতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিজস্ব প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
রাজবাড়ী : বজ্রপাতে কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন ব্যাপারী (৪০), ভাগলপুর গ্রামের জাহের আলী শেখ (৪৫) ও গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ওমেদ ব্যাপারী পাড়ার সোবহান সরদার (৫০)।
এলাকাবাসী জানায়, বিল্লাল বেলা দেড়টার দিকে খেতে কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর জাহের আলী দুপুরে তার খেতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান।
গোয়ালন্দে মৃত সোবহান সরদারের ছোট ভাই জাকির সরদার জানান, দুপুরে সোবহান খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার কাট্টলী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতে আমজাদ আলী (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আমজাদ আলী সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমীনের চাচাতো ভাই। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাট্টলী (হালিশহর) বারুণী ঘাট বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রণজিত বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ধামরাই: সাভার ও ধামরাইয়ে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, সাভার পৌর এলাকার ছায়াবীথি মহল্লার বাসিন্দা মন্টু মিয়া (২০) এবং ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউয়নের বাস্তা নয়াচড়া এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে মনির হোসেন (১৮)।
কিশোরগঞ্জ: তাড়াইল উপজেলার ধলা ও ইটনা উপজেলার শিমুলবাগে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলো, তাড়াইলের ধলা ইউনিয়নের ধলা গ্রামের আরমান মিয়া (২৮) ও ইটনা উপজেলার শিমুলবাগ গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে তারু মিয়া। নিহত আরমান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গগড়া মোজাফফ্ফরপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান ও ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আরমান তাড়াইলের ধলা গ্রামে তার শ্বশুর লালমিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরমান। অপরদিকে, ইটনার শিমুলবাগে আগরফা হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তারু মিয়া (৩৮)।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার খড়ক গ্রামের আব্দুস সালাম মন্ডলের ছেলে স্কুল পড়ুয়া আনিসুর রহমান (১৪) ও পৌর এলাকার বেতুয়া পৌলশিয়া গ্রামের মোকলেসুর রহমানের মেয়ে লিমা আক্তার (১৪)। দুইজনই টেপিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে সতিঘাটা মাঠে ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান সতিঘাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৩)। রফিকুল কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে ক্ষেতলাল থানার এসআই রশিদ ভদ্র জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামে ধান কাটার সময় মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে।
নওগাঁ: নওগাঁর পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ইব্রাহিম হোসেন (১৪) নামে কিশোর ও শচীন মুহুরী (৪৬) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। পোরশা থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের গোলজার হোসেনে ছেলে ইব্রাহিম সকাল ১০ টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন হেলিপ্যাপ এলাকায় আম কুড়াচ্ছিল।
এ সময় বজ্রপাতে সে মারা যায়। অপরদিকে মহাদেবপুর থানার ওসি সাবের রেজা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ধনজইল গ্রামের ভগবান মুহুরীর ছেলে শচীন মুহুরী। সুনামগঞ্জ: জগন্নাথপুরের কলকলি ইউনিয়নে বজ্রপাতে আমির উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর: বাড়ির পাশের মাঠে গরু আনতে গিয়ে যশোরে বজ্রপাতে ইয়ার আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬৫)। শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরতলীর সুজলপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়ার আলী ওই গ্রামের মৃত আবদুল হক মোল্যার ছেলে।
চাঁদপুর: মেঘনার মোহনায় বেলা সাড়ে ১২টায় বালিভর্তি কার্গো জাহাজ নসিব-২ এর ওপর বজ্রপাতে শ্রমিক লস্কর নবীর হোসেনের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। নিহত নবীর হোসেন কমলনগর উপজেলার চরফোরকান গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
গাজীপুর: কালিয়াকৈরে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুভাষ চন্দ্র (৬০) কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন সোলাটি গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছিম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। |
ea616e15-1a01-43f3-b64a-55b63a4077fb | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: একমি ল্যাবরেটরিজের প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) লটারির ড্র আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিওতে ১২ লাখ ৭০ হাজার আবেদন পড়েছে। যা কোম্পানির প্রত্যাশার চেয়ে ৭.৬১ গুণ বেশি জামা পড়েছে। তবে কোন ক্যাটাগরিতে কত গুণ আবেদন পড়েছে আগামীকাল ১৫ মে লটারির দিন জানা যাবে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ করে কোম্পানিটি। স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় বিনিয়োগকারিদের জন্য এই সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিলো।
এদিকে, গত ৩ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিরা নিলামে নির্ধারিত টাকা জমা দেন। এর আগে নিলামে মোট ১০ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ শেয়ারের দর বিভিন্ন হারে দর প্রস্তাব করে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা দরে নয় কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয়। এর মূল্য দাঁড়ায় ৮৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিধি অনুসারে, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (Indicative Price) থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেশি বা ২০ শতাংশ কম পর্যন্ত দর প্রস্তাব করতে পারে।
একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকা। এ হিসেবে এর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য দর দাঁড়ায় ৮৫.২০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দর হয় ৫৬.৮০ টাকা। নিলাম শেষে দেখা যায়, সর্বনিম্ন সীমা ৫৬.৮০ টাকা দরে একমির শেয়ার কেনার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেনি। তবে এর কাছাকাছি দাম ৫৭ টাকা দরে দুই লাখ শেয়ার কেনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় একমি ল্যাবরেটরিজকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের জন্য ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি কাট-অফ ৮৫ টাকা ২০ পয়সায়, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী,
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য। এই শেয়ারের কাট-অফ মুল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে এই টাকা দিয়ে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে খরচ করবে।
কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
17456605-d74e-4457-ad77-df9aa5e95910 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ পেল তিন ব্যাংক। শেয়ার বিক্রি না করেই এ সমন্বয়ের সুযোগ পেলো। বেসরকারি এবি, পূবালী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ার ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে দেওয়া ঋণের এক হাজার ১১৫ কোটি টাকা নতুন করে সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানির মূলধনে নিয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংক তিনটির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানে সমন্বিত মূলধন তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।
কোনো ব্যাংক এক সময় মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। তবে ২০১৩ সালে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে বিনিয়োগের সক্ষমতা কমিয়ে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও অবণ্টিত আয়ের (রিটেইন্ড আর্নিংস) ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের বিধান করা হয়।
যেসব ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তা নামিয়ে আনার কথা। বিনিয়োগ সমন্বয় করতে গিয়ে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বাড়ার আশঙ্কায় সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পক্ষ। তবে আইন সংশোধন করে সময় না বাড়িয়ে বিকল্প উপায়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত ডিসেম্বরে সাবসিডিয়ারিতে সরবরাহ করা মূলধন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ হিসেবে না ধরার সিদ্ধান্ত হয়। তাতে পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সুবিধা পায় ব্যাংক। এরপরও ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার ওপরে থাকায় নতুন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা নেওয়া তিন ব্যাংকের মধ্যে এত দিন পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধন ছিল মাত্র ১৬০ কোটি টাকা। ধারণকৃত শেয়ার ও সাবসিডিয়ারিকে দেওয়া ঋণের ৫০০ কোটি টাকা নতুন করে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধনে স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এতে ব্যাংকটির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূলধন ৬৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। নির্ধারিত সীমায় নেমে এসেছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে থাকা এবি ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধন ছিল ২৮০ কোটি টাকা। এখন আরও ৩২০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৬০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধন ৬৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ কোটি টাকায় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ২৯৫ কোটি টাকা সাবসিডিয়ারির মূলধনে স্থানান্তরের সুযোগে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নেমে এসেছে।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ হালিক চৌধুরী বলেন, পূবালী ব্যাংকের কেনা কিছু শেয়ার ও নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে দেওয়া ঋণ সাবসিডিয়ারির মূলধনে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে শেয়ার বিক্রি না করেই বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ পাওয়া গেল। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আইন নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনতে বিক্রির ওপর যে চাপ তৈরির কথা শোনা যাচ্ছিল তা আর হবে না।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে সাবসিডিয়ারিতে সরবরাহ করা মূলধন বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য না করার সিদ্ধান্তের পর ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
বর্তমানে ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে থাকলেও ২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের পর ৩৬টি ব্যাংকের বিনিয়োগ এ সীমার ওপরে ছিল। পর্যায়ক্রমে কমতে-কমতে এখনকার অবস্থায় এসেছে। দেশে কার্যরত মোট ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে কখনই শেয়ারবাজারে নতুন ও বিদেশি ৯টি করে ১৮টি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে ওঠেনি।
সরকারি মালিকানার বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কখনই পুঁজিবাজারে কোনো বিনিয়োগ করেনি। সুত্র: সমকাল |
e9de4ca6-6ab0-477f-ad39-c458422ee61b | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইপিও লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, ঢাকায় শুরু হয় এ কোম্পানির আইপিও লটারির ড্র। আর এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন একমি ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা।
লটারির ড্র অনুষ্ঠানে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান সিনহাসহ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ম্যানেজার টু দ্যা ইস্যুর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বিএসইসির ৫৬৭তম কমিশন সভায় দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। ইলিজিবল ইনভেষ্টররা এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ৮৫.২০ টাকায় (৭৫.২০ টাকা প্রিমিয়াম) পাবে। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারী,ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এবং নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এনআরবি) বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ার কাট-অফ মূল্যের ১০ শতাংশ কমে ৭৭ টাকায় আইপিও আবেদন করেন। আর এ আবেদন ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।
একমি ল্যাবরেটরিজ ৫ কোটি সাধারণ শেয়ারের মধ্যে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (ইলিজিবল ইন্সটিটিউশন ইনভেস্টরস) জন্য এবং ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য যার প্রতিটি শেয়ার কাট-অফ মূল্যে অর্থাৎ ৮৫.২০ টাকায় সংরক্ষিত।
অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এবং এনআরবিদের জন্য যার প্রতিটি শেয়ার কাট-অফ মূল্যের ১০ শতাংশ কম মূল্য ৭৭ টাকায় ইস্যুর জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, কাট-অফ মূল্য নির্ধারণের বিডিংয়ের নির্দিষ্ট শেয়ার সংখ্যার ৩.৯০ গুন শেয়ারের আবেদন পড়ে ৮৫.২০ টাকা মূল্যে। এই আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা পুঁজি উত্তোলন করে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের (১ জুলাই,২০১০ থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত) নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.০৭ টাকা (ওয়েটেড) এবং ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫.৭০ টাকা। ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ৭০.৩৭ টাকা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। |
708d4296-1fe6-49ad-8939-1fe82468473c | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বিনিয়োগমুখী হলে বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবো। তেমনি স্থিতিশীলতার আভাস দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংকের সাবসিডিয়ারী কোম্পানিকে নতুন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি এক্সপোজার সমন্বয়ের পরও শেয়ারবাজারে নতুন করে বিনিয়োগের জন্য ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সম্মতি দেয়।
এদিকে বর্তমান বাজার নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারন নেই বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা বলেছেন, খুব শিগরিই বাজার ঘুরে দাঁড়াবো। কারন ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগমুখী হলে দ্রুত লেনদেন বাড়বে।তেমনি ঘুরে দাঁড়াবো পুঁজিবাজার। এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংক এই তিন ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ (Over Exposure) সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হওয়ার পরও ইনডেক্স ২৩ পয়েন্ট কমে যাওয়াতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তবে এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া বাজারে এখন থেকে আর বড় ধরনের কোন পতন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তারা মনে করছেন। এছাড়া ১০ ব্যাংকের অনুমোদন সম্পন্ন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফিরবে আস্থা, এটাই নীতি সহায়তার সুফল বলে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এক্সপোজার সমস্যার সমাধান দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই তিনটি ব্যাংককে এই সুযোগ করে দেয়। ব্যাংক তিনটির ওভার এক্সপোজার ছিল মোট ৫০৫ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকার শেয়ার বিক্রি না করে বরং এর সাথে আরো বাড়তি ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন চেয়ে ব্যাংক তিনটির পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বিনিয়োগের অনুমতি দেয়।
ব্যাংক তিনটি হলো এবি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক। ৪র্থ ব্যাংক হিসাবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পরিচালনা পর্ষদ তাদের ২৫% লিমিট পূরণ করতে দুই দফায় মোট ২১৮ কোটি (৯৩+১২৫) টাকার ছাড় নিয়েছে।
এবং একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এই ব্যাংকটিও পূঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে একটি বড় অংকের টাকা ছাড় চেয়ে আবেদন করেছে। দু’একদিনের মধ্যেই এমটিবির আবেদনটিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র মতে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এক্সপোজার সমন্বয়ের জন্য ২ বছরের সময় না বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত সীমায় বিনিয়োগ করা ১০টি ব্যাংকের জন্য সম্প্রতি নীতি সহায়তা ঘোষণা করে। এই ঘোষণায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব মহল বিশেষ করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার এ্যাসোসিয়েশন(বিএমবিএ),ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
তখন এই সংগঠনগুলো বলেছিল, সময় বাড়ানোর চেয়ে নীতি সহায়তায় বাজার বেশি লাভবান হবে। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য অনুযায়ী এখন সমন্বয় করার পরও ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত অর্থের ছাড় পাবে। যদি চায়।
সেই সুযোগ নিতে গিয়ে সবার আগে তালিকাভূক্ত পূবালী ব্যাকের পর্ষদ তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ১৬০ কোটি টাকার সাথে সাবসিডিয়ারী পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধণে আরো ৫০০ কোটি টাকা স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অঙ্গীকার পূরনের অংশ হিসাবে পূবালী ব্যাংকের জন্য ৬৬০ কোটি টাকারই অনুমোদন দেয়।
জানা গেছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনীতে আরোপিত শর্তের কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে যায়। আগে প্রতিটি ব্যাংক তার আমানতের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। ২০১৩ সালের সংশোধনী অনুসারে এখন ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সক্ষমতা কমিয়ে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও অবণ্টিত আয়ের (রিটেইন্ড আর্নিংস) ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের বিধান রাখা হয়।
এই সংশোধনীর ফলে আগের আইনে বিনিয়োগ করা ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ সীমার বাইরে পড়ে গেছে। চলতি বছরের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে ওই ব্যাংকগুলোকে। এর জন্য ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এই বিক্রির চাপ কমাতেই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সময় না বাড়িয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি সমন্বয় করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত ডিসেম্বরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা মূলধন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ হিসাবে না ধরার সিদ্ধান্ত হয়। তাতে পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সুবিধা পায় ব্যাংকগুলো। এরপরও ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার ওপরে থাকায় নতুন সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে থাকা এবি ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধন ছিল ২৮০ কোটি টাকা। এখন আরও ৩২০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৬০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকটি।
অন্যদিকে ৬৫ কোটি টাকা থেকে মূলধন বাড়িয়ে ৩৬০ কোটি টাকায় নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ। নতুন করে ২৯৫ কোটি টাকা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধনে স্থানান্তরের সুযোগে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নেমে এসেছে।
এর আগে একই ভাবে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের বাড়তি বিনিয়োগের সমস্যা সমাধান করা হয়। পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধন ছিল ১৬০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তায় ধারণকৃত শেয়ার ও সাবসিডিয়ারিকে দেয়া ঋণের ৫০০ কোটি টাকা নতুন করে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের মূলধনে স্থানান্তরের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকটির সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন ৬৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। নির্ধারিত সীমায় নেমে এসেছে ওই ব্যাংকের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা মূলধন বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য না করার সিদ্ধান্তের পর ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনীর পর নির্ধারিত সীমার ওপরে ছিল ৩৬টি ব্যাংকের বিনিয়োগ। তা পর্যায়ক্রমে কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে আছে। |
41a2b1d9-a1ce-416f-9094-b2d18867f2a4 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাষ্টায়ত্ত ২৬ কোম্পানির শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড ((এপিএসসিএল) অফলোড প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। অফলোড করতে ইতোমধ্যে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১ মাসের মধ্যে প্রতিবদন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
আগামী জুন মাসের মধ্যে আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির অফলোড সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হবে। আইসিবির বিশেষ একটি সূত্র সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করে। সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মন্ত্রণালয় এক মাসের সময় দিয়েছে সব প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে। একইভাবে আরো ২৬ টি কোম্পানি অফলোড প্রক্রিয়ার আনবে সরকার।
জানা গেছে, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে তাগিদ দেয়া হয়। আগামী জুন এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেয়ার ছাড়ার আবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদস্য মো. আরিফ খান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বৈঠক হয়। এরপরে ২০১২ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল তালিকাভুক্ত হয়। আরপিও পদ্ধতিতে শেয়ার ছাড়ে ছাড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং যমুনা অয়েল বাজারে বাড়তি শেয়ার বিক্রি করে।
তালিকাভুক্তির প্রথম সারিতে থাকা কোম্পানিগুলো হল – রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস কম্পানি, বিটিসিএল, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, টেলিটক, চিটাগাং ড্রাইডক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পানি লিমিটেড।
রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য কোম্পানিগুলো হল- এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস, রুরাল পাওয়ার, হোয়েকস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন ডেভেলপমেন্ট, মিরপুর সিরামিকস, হোটেল ইন্টারন্যাশনালের (সোনারগাঁও হোটেল), ছাতক সিমেন্ট, কর্ণফুলী পেপার মিলস, জিএম কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
ইতোমধ্যেই বাজারে আসা তিতাস গ্যাস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল ও পাওয়ারগ্রিড কোম্পানিকে আরও কিছু শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। এ কোম্পানি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত পিডিবি-এর অধীনে পরিচালিত। এপিএসসিএল ২৮ জুন ২০০০ সালে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এ নিবন্ধিত হয়।
বর্তমানে কোম্পানিটি দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৬ শতাংশ বিদ্যুৎতের জোগান দেয়। কোম্পানিটির ৯টি ইউনিটের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ১২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। বর্তমানে ৯৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। |
c1431613-6616-4de6-b2d4-ad7e2d1baa60 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড ও গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের অবসায়ন-সংক্রান্ত রিটের পূর্ণাঙ্গ শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে এ মামলাটি।
গত ২৯ মার্চ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আদালত বন্ধ থাকায় তা আজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে রিটের বাদীপক্ষ। এদিকে আদালতে রিটের চূড়ান্ত শুনানি এবং রায়ের আগেই রূপান্তর-অবসায়ন প্রক্রিয়া শেষে ইউনিটহোল্ডারদের প্রাপ্য অর্থ বিতরণের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত।
গত ১২ মে রিটকারীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ স্থগিতাদেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আজ শুনানির কথা জানানো হয়। এর আগে আপিল বিভাগ কর্তৃক হাইকোর্টের রায় স্থগিতের পরিপ্রেক্ষিতে ফান্ড দুটিকে অবসায়নের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নির্দেশনা অনুযায়ী ২ মার্চের পর স্টক এক্সচেঞ্জে এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড ও গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফান্ড দুটির ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান উপস্থাপিত নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এর অবসায়নের অনুমতি দেয় কমিশন।
একই সঙ্গে ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানকে ইউনিটহোল্ডারদের প্রাপ্য অর্থ প্রদানে সাত কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে ৪ মে নতুন নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। তবে রিটের চূড়ান্ত শুনানির আগেই অবসায়ন প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ নেয়ায় আদালতের নির্দেশে অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ সাইফুদ্দিন বলেন, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর রূপান্তর-অবসায়ন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ফান্ডগুলোর কার্যক্রম এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শুধু ইউনিটহোল্ডারদের মাঝে অর্থ বিতরণ বাকি। মূলত আপিল বিভাগের নির্দেশে অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ট্রাস্টি হিসেবে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিআইসি ।
এদিকে রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যেই সম্প্রতি উচ্চ আদালতে এইমস ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড বিষয়ে আরো একটি রিট হয়েছে। মূলত রূপান্তর-অবসায়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা পরিচালনার আইনি খরচ ও অবসায়ন ফি ফান্ড থেকে দেয়ার বিএসইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ রিট আবেদন করা হয়।
রিটের শুনানি শেষে এ অর্থ প্রদানে তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে বিএসইসির এ সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। ২৪ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া ফান্ডের লভ্যাংশের বিপরীতে কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ট্রাস্টিকে চিঠি পাাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইউনিটের অভিহিত মূল্য বাদ দিয়ে সম্পদমূল্যের বাকি অর্থকে লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচনা করেছে এনবিআর।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মিউচুয়াল ফান্ডের রূপান্তর-অবসায়ন ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২৪ মার্চ পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সেদিন মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর রূপান্তর-অবসায়নে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এইমস-গ্রামীণের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) পরিচালিত কয়েকটি ফান্ডেরও রূপান্তর-অবসায়নে নতুন নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা ২০০১-এর ৫০ (খ) ধারায় বলা আছে, কোনো মেয়াদি স্কিমের মেয়াদ এবং পরিমাণ স্কিম ঘোষণার সময়ই নির্ধারণ করতে হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর আগে ইউনিট মালিকদের বিশেষ সভায় উপস্থিত তিন-চতুর্থাংশ ইউনিটধারীর সম্মতিতে ফান্ডের মেয়াদ অনুরূপ একটি মেয়াদের জন্য বর্ধিত করা যাবে।
তবে ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কমিশন মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ও অবলুপ্তি-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে, যাতে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করার পাশাপাশি যেসব মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ এরই মধ্যে ১০ বছর অতিক্রম করেছিল, সেসব ফান্ডকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবলুপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়। অবশ্য নানা কারণে এর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। |
de90de83-d167-422d-b134-01c6456e6546 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সহজ শর্তে ২৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বিনিয়োগের জরুরী উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই টাকাটি যাতে সরাসরি বিনিয়োগকারীদের হাতে যায় এবং শুধুমাত্র শেয়ার কেনার কাজে ব্যবহার করতে পারে তার নিশ্চয়তার বিধানসহ অনেকগুলো সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আইসিবি কার্যালয়ে অবিতরনকৃত ওই টাকাটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরনের জন্য কি কি সুবিধা দেয়া যায় এ নিয়ে বিএসইসি’র এক জরুরী বৈঠকে কিছু প্রস্তাবনা তৈরী করে অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাছে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির এই প্রস্তাবটি দু’একদিনের মধ্যেই মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে অনুমোদিত হয়ে আসলেই বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা পৌছে যাবে বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সরকারের প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দকৃত ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে বিতরনকৃত ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার বাহিরে অবিতরনকৃত ওই টাকাটি এখন সহজ শর্তে বিতরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি গঠিত এ সংক্রান্ত তদারকি কমিটি। সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসবি এই টাকা মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মাধ্যামে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরন করবে।
সূত্র জানায়, আইসিবি’র মাধ্যমে বিতরনকৃত পুনঃঅর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা পরিশোধের সময়সীমা শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। বাজারের লেনদেন মন্দায় যার এ অর্থ গ্রহণ করেছে তারাও বিপাকে পড়েছে। ফলে, এ অর্থের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সুপারিশ করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা । একই সাথে ফান্ডের অর্থে সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ করার সুপারিশও করা হবে।
এ বিষয় আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন পড়েছে খুব কম। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ফান্ড হওয়ায় এখানে আইসিবি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। জুনের ৩০ তারিখের মধ্যেই যোগ্য যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন পেতে চান তাদের আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। জুনে যারা আবেদন করবেন তাদের জন্যও আলাদাভাবে কোন সময় বাড়ানো হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জুন বা জুনের ৩০ তারিখের আগে ঋণ নেবেন তারা প্রান্তিক অনুযায়ী হিসাব করলে দুটি ইন্সটলমেন্ট পাবেন। তবে আলাদা করে সময় বাড়ানো হবে না। সবার জন্যই ঋণ পরিশোধের শেষ সময় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর।
নাম প্রকাশ করার শর্তে এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঋণের শর্তগুলো বেশ জটিল। আর বন্ডে স্বাক্ষর দিয়ে হাউসগুলোকে টাকা আনতে হয়। কিন্তু ঋণ নেয়ার পরে বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেও সুদাসল ব্রোকারেজ হাউসকে দিয়ে দিতে হবে এমন শর্তের কারণেই ব্রোকারেজ হাউসগুলো ঋণ পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারণ ঋণের অর্থ দিয়ে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ওপর হাউসগুলোর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যার কারণে টাকা নিতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
জানা যায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যেমে পুনঃঅর্থায়ন ফান্ড নামে ৯০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের এ ফান্ডের অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যেমে দেওয়া হয়। ফান্ডের অর্থ পাওয়ার জন্য আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০জুন।ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করার শর্ত দেওয়া ছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তহবিল তদারক কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় আইসিবি। গত ১৯ জানুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত বিশেষ তহবিলের ৯০০ কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড় করে। তহবিলের অর্থ ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বিতরণ করবে।
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯৮৮ অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। |
f2f59ed9-8724-49f0-9a97-03136a91196d | নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে লাঞ্ছিত হওয়া সেই প্রধান শিক্ষককে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির পাঠানো বরখাস্তপত্র হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবিতে প্রতিবাদের মধ্যে উল্টো ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করার খবর এলো। চিঠিতে স্বাক্ষরের তারিখ ১৬ মে উল্লেখ আছে। এতে অনুপস্থিতিসহ চারটি কারণের কথা বলা হয়েছে।
চারটি সুনির্দিষ্ট কারণসহ স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফারুকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। শ্যামল কান্তি ভক্তকে পাঠানো বরখাস্তের চিঠিতে স্বাক্ষরের নিচে ১৬ মে ২০১৬ইং লেখা থাকলেও চিঠির ওপরের ডানদিকে ১৩ মে উল্লেখ করা রয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন মর্মে যে চিঠি শ্যামল কান্তি ভক্ত পেয়েছেন তাতে লেখা, ‘আপনার বিরুদ্ধে আনীত নিম্নবর্ণিত অভিযোগসমূহ অদ্যকার পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়।
১। আপনি ছাত্রদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন।
২। বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ গ্রহণ করেছেন।
৩। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
৪। বিদ্যালয়ের ছুটি ব্যতিরেকে অনুপস্থিত থাকেন এবং প্রায়ই দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন।
আগেও এসব অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছে এবং আপনাকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু আপনি এরূপ অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হননি। তাই ১৩ মে ২০১৬ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাকে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
তবে এ ব্যাপারে ফারুকুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দিলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হাবিব জানান, বিষয়টি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ব্যাপার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামল কান্তি ভক্ত বলে, ‘আমি স্কুলের শুরু থেকেই চাকরি করে আসছি। কলাগাছিয়ার অনেকেই আমার ছাত্র। টিনের স্কুলঘরকে তিলে তিলে ভবনে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি চাচ্ছে না আমি প্রধান শিক্ষক পদে থাকি। তারা চেয়েছিল আমি তাদের পকেটের লোক হয়ে থাকি। এসব নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ছাড়া স্কুলের দেয়াল ধসসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুকুল ইসলামের বোন পারভীন আক্তারকে প্রধান শিক্ষক করতেই মূলত চেষ্টা করা হয়।’
‘এ ছাড়া স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মতিউর রহমান, মিজানুর রহমান ও মোবারক হোসেন এ তিনজন মিলেই আমাকে পদচ্যুত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। পুরোটা পরিকল্পিত ও সাজানো। আমি আসলে পলিটিক্স বুঝতে পারিনি। সে কারণেই আমার ওপর অপবাদ দেওয়া হয়। মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মিজানুর রহমান ও মোবারক হোসেন মিলেই শুক্রবার হামলা চালায় এবং মারধর করে।’ যোগ করেন তিনি।
শুক্রবারের ঘটনায় এমপি সেলিম ওসমান তাকে কান ধরে ওঠ-বস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে আমার স্থানে অন্য কাউকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর রেখে আমার যাবতীয় শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার মূল সনদ এবং বিদ্যালয়ের যাবতীয় চাবি রেখে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে স্থানীয়দের জনরোষ থেকে এমপি মহোদয় আমাকে উদ্ধার করেন।’
এদিকে তদন্তসংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে তারা প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তথ্য পান। এর মধ্যে একটি হলো- মসজিদের মাইকে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পরিস্থিতিকে উসকে দেওয়া।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিবও এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আহত স্কুল ছাত্রের অভিযোগে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। এ ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির বিরোধের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে।’
এ বিষয়ে সুশীল সমাজ মনে করছে, প্রভাবশালীদের কারণে শেষ পর্যন্ত এ ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষ থাকবে না। অপমানে বিপর্যস্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে দেশের বাকি সব শিক্ষকের সম্মানের স্বার্থেই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম জানিয়েছেন, একজন সংসদ সদস্য কোন এখতিয়ারে এ ধরনের শাস্তি দিতে পারেন আমার জানা নেই। সাংবাদিকদের প্রতি হুমকি-ধামকিসহ ডিসের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করার সময়। |
7db4089a-d0f6-429f-99dc-e29a10a327d9 | বিশেষ প্রতিনিধি, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে গত তিন কার্যদিবস ধরে সুচক ও লেনদেনের পরিমান বাড়তে শুরু করছে। তবে সুচক ও লেনদেনের পরিমান বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা আশা নিয়ে নতুন করে বাজারমুখী হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করছে। বর্তমানে চার ইস্যুতে পুঁজিবাজারে সুচক ও লেনদেন বাড়ছে। এটা বাজারের জন্য খুব ভাল দিক। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দ্রুত বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবে।
পুঁজিবাজারে ফের সক্রিয় হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নতুন করে বিনিয়োগমুখী হয়ে লেনদেন বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত এক থেকে দুই মাসের ব্যবধানে এ শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রতি শেয়ার ধারনের শতাংশ বেড়েছে প্রায় এক থেকে দেড় শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষনে এমনটিই দেখা গেছে। সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার ধারনের দিক দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শতকরা অংশ বেড়েছে। এছাড়া বর্তমানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তারা।
পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান বাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এখন কোম্পানিগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন তারা। কোম্পানিগুলো যদি বাজার পরিস্থিতি সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করে, স্বীয়স্বার্থ কিছুটা ত্যাগ করার মনমানসিকতা দেখায়, তাহলে পরিস্থিতি অচিরেই স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, এটা খুবই ভাল যে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছে। তাহলে বাজারের ভিত্তি তৈরি হবে। বিনিয়োগকারীরাও বাজারের প্রতি আস্থাশীল হবে।
তিনি বলেন, সাধারন বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বাজারে বড় ধরনের বিনিয়োগে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা অনেক সময় বাজারে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনুপস্থিতির কারণে মন্দার বিষয়টি চিহিৃত করে থাকি। তারা বাজারে সক্রিয় থাকলে একদিন বাজারে মন্দা থাকলেও তা দীর্ঘায়িত হবে না। বরং দুই তিন ট্রেডিংয়েল পর বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রাকিবুর রহমান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করা যায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হলে লেনদেন বেড়ে যাবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা, কোনো প্রকার কারচুপি না করে সঠিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
তিনি বলেন,পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা লোকসান কমাতে এখন পাগলপ্রায়। এদিকে মার্জিন লোন নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের অবস্থা শোচনীয়। এ অবস্থায় তাদের একটাই প্রত্যাশা, কোম্পানিগুলো যদি একটু বেশি পরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে তাহলে তারা অতীতের লোকসান কিছুটা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আবারও বাজারমুখী হবেন। এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিকিউরিটিজ হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ নিয়ে দোটানার মধ্যে পড়ে আছেন। বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় অনেকের পোর্টফোলিও বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কারো কারো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। অন্যদিকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করবেন কি না, বা করলেও কতটুকু সফল হবেন তা নিয়ে শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা।
তিনি আরো বলেন, কোম্পানিগুলো যদি বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রিজার্ভ থেকে কিছু অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করার চেষ্টা করে তাহলে বাজারের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু কোম্পানি ফায়দা হাসিলের জন্য বিভিন্ন সময়ে সঠিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করে ভূয়া আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। আবার মাঝেমধ্যে কোম্পানিগুলো সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর মাধ্যমে নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য বাজারে ভূয়া মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে থাকে।
বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে তাদেরকে এ ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। বাজারের প্রতি আস্থা ফেরাতে কোম্পানিগুলো যদি বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখে তাহলে বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হবেন। আর তারা বাজারমুখী হলেই স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
বিনিয়োগকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই চাওয়া একটি স্থিতিশীল বাজার। মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো বিনিয়োগকারীই নতুন করে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন বলে মনে হয় না। আর যারা নতুন করে বিনিয়োগ নিয়ে ভাবছেন তারাই হারাচ্ছেন সর্বস্ব।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, এত পদক্ষেপ গ্রহণের পরও স্থিতিশীলতা ফিরছে না। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন পুঁজিবাজার গুজব নির্ভর। তারা বিনিয়োগকারীদের সচেতন হয়ে, গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। |
2fead85e-e4d8-4dce-805d-c180536d5e47 | শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সংকটের নেপথ্যে রয়েছে নেতিবাচক মূলধন। বিনিয়োগকারীরা পুঁজিহ বিনিয়োগ করেই লোকসানের শিকার হয়েছিলেন। ফলে তারা নতুন বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন না। এ ফলে লেনদেন বাড়েনি পুঁজিবাজারে।
বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন মাইনুল। সাম্প্রতিক সময়ে একটি ডিপিএসের টাকা পাওয়ায় শেয়ারবাজারে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু এক মাসে মূলধন হারিয়েছেন ৭৬ হাজার টাকা। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ১৬ শতাংশ।
এভাবে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক হাজার বিনিয়োগকারীকে নিঃস্ব করে দিয়েছে পুঁজিবাজার। বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের গবেষণায় উঠে এসেছে, অতীতে যে কোনো সময়ের চেয়ে সংকটে পুঁজিবাজার। তলানিতে চলে এসেছে বাজার। দিন দিন অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। আর এই সংকটের পেছনে মূল কারণ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর নেতিবাচক মূলধন (ইক্যুইটি)।
বর্তমানে নেতিবাচক ইক্যুইটির পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ২ হাজার ২শ কোটি টাকা এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ৩ হাজার ৮শ কোটি টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমার ব্যাপারে একটি সুরাহা হলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
এ জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে তারল্য সংকট কিছুটা রয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের দামও কমেছে। দেশের বিনিয়োগকারীদের পরিপক্বতার অভাব রয়েছে। এ কারণে তারা অবমূল্যায়িত বাজারেও বিনিয়োগ করে না।
তিনি আরও বলেন, বাজারে যে তারল্য সংকটের কথা বলা হচ্ছে, মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট থেকে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারমতে, ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের ব্যাপারে একটি নীতিমালা এসেছে। এরপর বাজারের ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের যে প্রত্যাশা ছিল, বাস্তবে তা পূরণ হয়নি।
এদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, নেতিবাচক মূলধন এই বাজারে দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সমস্যা কাটাতে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। তবে বিভিন্ন হাউসগুলোর পক্ষ থেকেও কোথাও এর রিপোর্ট করতে হয় না। ফলে আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারকদের এ ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই।
উদাহরণ দিয়ে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘একটি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউস ৫০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে বাজারে এসেছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের টাকা মিলিয়ে তারা পোর্টফোলিওতে ৩শ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
এক্ষেত্রে পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য নেমে এসেছে ২শ কোটি টাকায়। এতে ওই হাউসের আনরিয়ালাইজড লোকসান ১শ কোটি টাকা। এই লোকসানের টাকা থেকে তার ইক্যুইটি ৫০ কোটি টাকা বাদ দিলে নেতিবাচক ইক্যুইটি থাকে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া।
এভাবেই বাজারে ঝুঁকি তৈরি করছে নেতিবাচক ইক্যুইটি। তবে এ বছর এই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা। আগামী বাজেটে সহজ শর্তে অর্থায়নের জন্য বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বরাদ্দ রাখার দাবি করেছে এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো। এছাড়া এখাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় তারা।
মার্চেন্ট ব্যাংকারদের যুক্তি হল- নেতিবাচক ইক্যুইটির জন্য সরকারই দায়ী। কারণ ২০১১ সালে মার্চেন্ট ও ব্রোকারেজ হাউসের ফোর্সড সেল (বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি) বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ফলে তাদের ইক্যুইটির টাকা লোকসান হলেও তারা শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি।
যে কারণে তারা আটকে গেছে। অন্যদিকে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমাও একটি সমস্যা ছিল। ২০০৯ সালের শুরুতে শেয়ারবাজারে আগ্রাসীভাবে বিনিয়োগ করে বিভিন্ন ব্যাংক। ওই সময়ে বিনিয়োগের সীমা ছিল ব্যাংকের মোট আমানতের ১০ শতাংশ। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকগুলো বাজারে বিনিয়োগ করতে থাকে।
কোনো কোনো ব্যাংক এ সময়ে আমানতের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছিল। ফলে মৌলভিত্তি উপেক্ষা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম সীমাহীনভাবে বেড়ে যায়। এরপর ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ তুলে নিয়ে বাজারে বিপর্যয় নেমে আসে।
পরবর্তীতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্টের সুপারিশের আলোকে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা কমিয়ে আনা হয়।
তবে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ শতাংশের বেশি থাকলে তা ৩ বছরের মধ্যে কমিয়ে আনার সময় বেধেঁ দেয়া হয়। আর চলতি বছরের ২১ জুলাই এ সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে বিষয়টির সুরাহা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। |
Subsets and Splits