instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিতর্কের মুখে পড়া সেই 'আ স্যুটেবল বয়ে'র একটি দৃশ্য 'আ স্যুটেবল বয়' নামে ওই সিরিজটির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে রাজ্যের বিজেপি ও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর নেতারাও পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন। নেটফ্লিক্স ভারতে 'হিন্দু-বিরোধী' কনটেন্ট প্রচার করছে এই অভিযোগ অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই তোলা হচ্ছে। তবে পর্যবেক্ষকরা অনেকেই মনে করছেন, নেটফ্লিক্সসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে সে দেশে যেভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা শিল্পের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছুই নয়। বিক্রম শেঠের বিখ্যাত উপন্যাস 'আ স্যুটেবল বয়' নিয়ে একটি ছয় পর্বের টেলিভিশন ড্রামা কমিশন করেছিল বিবিসি - যা নির্মাণ করেছেন চিত্রনির্মাতা মীরা নায়ার। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র আরও পড়তে পারেন: নেটফ্লিক্সের এই সিনেমাটি নিয়ে কেন এত বিতর্ক হচ্ছে ধর্মীয় কোন্দলে আটকে গেছে পাকিস্তানের যে সিনেমা পানিপথের যুদ্ধ নিয়ে আবার এ কোন লড়াই? চলতি বছরেই যুক্তরাজ্যে বিবিসি ওয়ানে প্রদর্শিত হওয়ার পর তা এখন নেটফ্লিক্সের মাধ্যমে ভারতের দর্শকরাও দেখতে পাচ্ছেন, আর সেই সিরিজের কয়েকটি দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমালোচকরা বলছেন, সিরিজের একটি দৃশ্যে মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বর শহরের এক প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের প্রাঙ্গণে এক মুসলিম যুবক তার প্রেমিকা এক হিন্দু মেয়েকে চুমু খেয়েছেন - যাতে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রর কথায়, "এই সিরিজের কিছুই আমার স্যুটেবল লাগেনি - উচিত মনে হয়নি।" "মন্দিরের ভেতরে চুম্বন-দৃশ্য ফিল্ম করা হচ্ছে, পেছনে ভজনের সুর বাজছে - এটাকে আমি মানতে পারছি না। অন্য কোনও জায়গাতেও তো এসব করা যেত।" নর্মদার তীরে এই মহেশ্বর শহরের একটি মন্দিরেই বিতর্কিত দৃশ্যটি শ্যুট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ "তা ছাড়া ওই যুবক-যুবতীও তো আলাদা ধর্মের, মুসলিম যুবককে দিয়ে একজন হিন্দু যুবতীর ওপর এসব করিয়ে কেন অযথা ধর্মীয় আবেগকে আহত করা হচ্ছে? এটা তো অনায়াসেই এড়ানো যেত।" রাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগের তদন্ত করার এবং 'আ স্যুটেবল বয়ে'র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা খতিয়ে দেখার। ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির যুব শাখার জাতীয় সম্পাদক গৌরব তিওয়ারি নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ পুলিশে এফআইআর-ও দায়ের করেছেন। সিরিজ থেকে ওই আপত্তিকর দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তিনি, নেটফ্লিক্সকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলেও চিঠি দিয়েছেন। 'আ স্যুটেবল বয়ে'র পরিচালক মীরা নায়ার একই রকম দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ভোপালে সংস্কৃতি বিচার মঞ্চের নেতা চন্দ্রশেখর তিওয়ারির কথায়, "ওই ফিল্মের চুম্বনদৃশ্যটির বিরুদ্ধে আমরা তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি এবং এর পরিচালক-প্রযোজক ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা করারও উদ্যোগ নিচ্ছি।" "পুরো দেশের সব হিন্দু সংগঠনকেই আমরা বলব নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে তারা যেন এই আন্দোলনে যুক্ত হন।" এর আগেও লায়লা, সেক্রেড গেমস ইত্যাদি বিভিন্ন সিরিজের কারণে নেটফ্লিক্স ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে। ভারতে সম্প্রতি বারে বারেই বিতর্কের মুখে পড়ছে নেটফ্লিক্স খুব সম্প্রতি নেটফ্লিক্সসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মকেও সেন্সরশিপের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মধুরা মুখার্জি অবশ্য বিবিসিকে বলছিলেন, ইন্টারনেট-নির্ভর বিনোদনে এইভাবে রাশ টানার চেষ্টা আসলে অর্থহীন। মধুরা মুখার্জির কথায়, "ইন্টারনেট এসে যাওয়ার পর সব ধরনের কনটেন্টই এখন হাতের নাগালে, তা সে পর্নোগ্রাফিই হোক বা অ্যাকাডেমিক কাজকর্ম।" "ফলে নেটফ্লিক্স বা ওই ধরনের প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করা, সেন্সর করা বা না-করায় কিছু যায় আসে না। ওতে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কোনও লাভ হয় বলে মনে হয় না।" 'আ স্যুটেবল বয়ে'র লেখক, ঔপন্যাসিক বিক্রম শেঠ "দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না একটা কিসিং সিনে ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও বিরাট আঘাত লাগতে পারে! আমার ধর্ম বলে ঈশ্বর তো সর্বত্রই, তাহলে সেই যুক্তিতে কোথাওই তো চুমু খাওয়া যাবে না।" "কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়া উচিত নয় সত্যি, কিন্তু এটাও তো ঠিক এত অল্পেই যদি আমাদের আঘাত লাগে তাহলে তো কোনও ছবি বানানোই সম্ভব নয়! কোনও লেখাও লেখা সম্ভব নয়", বলছিলেন অধ্যাপক মুখার্জি। নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ কিংবা 'আ স্যুটেবল বয়ে'র পরিচালক মীরা নায়ার অবশ্য এই বিতর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। আর মধ্যপ্রদেশের যে রেওয়া জেলায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেখানকার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন তারা নির্মাতাদের কাছে ওই আপত্তিকর দৃশ্যগুলোর ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন।
অনলাইনে সিনেমা দেখার প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের একটি সিরিজের দৃশ্যে এক মুসলিম যুবককে মন্দিরের ভেতরে এক হিন্দু যুবতীকে চুম্বন করতে দেখা গেছে, ভারতে এই অভিযোগ ওঠার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের ঢাকা উত্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এফ আর টাওয়ারের জায়গার মালিক মি. ফারুক এবং ভবনটির উপরের অবৈধ অংশের মালিক তাসভীর উল ইসলামকে গতকাল (শনিবার) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। "একজনকে রাত পৌনে এগারোটার সময় গুলশান থেকে এবং অপরজনকে রাত সোয়া একটা থেকে দেড়টার মধ্যে বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।" এর আগে শনিবার তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মি. রহমান জানান, "পারস্পরিক যোগসাজশে অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে সংঘটিত অগ্নিসংযোগে প্রাণহানির অভিযোগে বনানী থানায় শনিবার মামলা দায়ের করা হয়।" ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মি. ফারুক এফ আর টাওয়ারের ভবনের জায়গার মালিক এবং তাসভীর উল ইসলাম উপরের অবৈধভাবে নির্মিত ফ্লোরগুলোর মালিক এবং সেখানকার মালিক সমিতির সভাপতি। "তাদের (গ্রেপ্তারকৃতদের) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে জেনে তারা আত্মগোপনের প্রচেষ্টায় ছিলেন", বলেন মি. রহমান। মি. রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাসভীর উল ইসলাম স্বীকার করেন যে ভবনের অবৈধ অংশ রেজিস্ট্রেশনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ২৮শে মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস সহ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি দল প্রায় ৬ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ। পরবর্তীতে রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান বনানীর ওই ভবনটি রাজউকের অনুমোদিত নকশা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: ঢাকায় অবৈধ ভবন শনাক্তে অভিযান যেভাবে চলবে ঢাকার অবৈধ ভবনগুলো টিকে আছে কীভাবে ঢাকার সব বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হবে: মন্ত্রী
বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে হজের পর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ঢাকার টঙ্গীতে এবার বিশ্ব ইজতেমা হতে পারেনি। তাবলীগ জামাতের একটি গ্রুপ ১১ই জানুয়ারি থেকে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত মাসে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে নিয়ে বৈঠক করেন - যেখানে ওই তারিখে ইজতেমা না করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সাদ কান্দালভি কি করেছেন বা বলেছেন - যা নিয়ে এই বিভক্তি? বেশ কিছু কাল ধরেই মি. কান্দালভি তাবলীগ জামাতে এমন কিছু সংস্কারের কথা বলছেন - যা এই আন্দোলনে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। সাদ কান্দালভি বলেন, 'ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়" - যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকান্ড পড়ে বলে মনে করা হয়। সাদ কান্দালভি আরো বলেন, "মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদ্রাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত - যাতে মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ে।" কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ কান্দালভি যা বলছেন - তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী তাদের বক্তব্য, মি. কান্দালভির কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়া'ল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষে সংঘর্ষ মাওলানা সাদকে ঘিরে তাবলীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে সাদ কান্দালভি কিন্তু মি. কান্দালভির সমর্থকরা বলছেন,তাদের নেতার বক্তব্য বা সংস্কারের প্রস্তাব মানতে না পেরেই বাংলাদেশে সংগঠনটির কর্মকান্ডকে 'রাজনৈতিক চেহারা' দেয়া হয়েছে। তবে সাদ কান্দালভির বিরোধী একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতার মতে, সাদ কান্দালভি এখনো এ মতবাদ ছাড়েন নি। "তাই এটা যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে এবং মুসলিমরা যেন পথভ্রষ্ট না হয়, সে জন্য তারা কাজ করে চলেছেন।" তিনি দাবি করেন, এর মধ্যে এক কণাও রাজনীতি নেই। ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন এই তাবলীগ জামাতের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে - যখন তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর পর এ বছর জুলাই মাসে ঢাকায় কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী'র উপস্থিতিতে তাবলীগ জামাতের একাংশের এক সম্মেলন হয় । এতে সাদ কান্দালভিকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় - দিল্লিতে তাবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাদ কান্দালভির বক্তব্য ও মতবাদকে অনুসরণ করা হবে না, এবং আগামী বিশ্ব ইজতেমার সময় তাকে বাংলাদেশে আসতেও দেয়া হবে না। তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির এসব চিন্তাভাবনা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দু'টি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের প্রভাব গত ইজতেমাতেও পড়েছিল। সে সময় এ নিয়ে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে - যখন মি. কান্দালভি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেও ইজতেমা প্রাঙ্গণে যেতে পারেন নি। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা প্রাঙ্গণ মি. কান্দালভি তার বিরোধী পক্ষের প্রতিবাদের মুখে ঢাকায় তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় কাকরাইল মসজিদ অবস্থান নেন, এবং পরে সেখান থেকেই দিল্লী ফেরত যান। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী এখনো তবলীগ জামাতের প্রধান দফতর কাকরাইল মসজিদেই অবস্থান করছেন, কিন্তু কার্যক্রম চালাচ্ছেন আলাদা আলাদা ভাবে। মি. কান্দালভির সমর্থক গোষ্ঠীর একজনের মতে, তাবলীগ জামাতের ৯০ শতাংশই 'নিজামুদ্দিন মারকাজ' বা সা'দ কান্দালভি-র অনুসারী হিসেবেই আছেন। কিন্তু তার কিছু কথাকে একটি গোষ্ঠী সহজভাবে নিতে পারছেন না। তার বিরোধীদের পেছনে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের লোকেরা সক্রিয় বলে বলা হলেও - হেফাজতের নেতারা এ অভিযোগ সরাসরি স্বীকার করেন না। হেফাজতে ইসলামের একজন উর্ধতন নেতা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এখানে হেফাজত বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ বিরোধ এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে। ব্রিটেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে তাবলীগ জামাতের নেতৃত্বের বিভক্তি দেখা দিয়েছে অনেকদিন আগেই। বিরোধ মেটানোর চেষ্টা থাকলেও তাতে এখনো ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের ভেতরে দু'টি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরে - যা সহিংস রূপ নিয়েছে শনিবারের সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে । এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আছেন তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ভারতীয় মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
২০১৩ সালে আহমদীয়া মুসলিম-বিরোধী এক সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনী র‍্যাবের উপস্থিতি। সেখানকার আহমদীয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় তাদের দুদিনব্যাপী বার্ষিক জলসা শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় শিশুদের একটি অনুষ্ঠান চলার সময় হঠাৎ করে আহমদীয়াদের মসজিদ বায়তুল ওয়াহেদে হামলা চালানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহমদীয়া মুসলিম জামাতের নায়েবে আমির মোঃ মনজুর হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "অনুষ্ঠান চলার মধ্যে হঠাৎই শুনতে পেলাম স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে অনেক মানুষ একেবারে আমাদের মসজিদের গেটের ভেতর ঢুকে পড়েছে।" "আমাদের ছেলেরা গেট আটকে দিলে তারা একদিকে গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করতে থাকে, অন্যদিকে বৃষ্টির মত ঢিল ছুড়তে থাকে। আমাদের তিনতলা মসজিদটির সব কাঁচ ভেঙে গেছে, একটি মাইক্রোবাস এবং একটি এয়ারকন্ডিশনার চুরমার হয়ে গেছে।" হামলা ও সংঘর্ষে আহত কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহমদীয়াদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছে খতমে নবুয়ত। ২০০৪ সালে ঢাকায় তাদের এক সমাবেশ। রাত সাড়ে নয়টার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, স্থানীয় কওমি মাদ্রাসা এবং আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক বছর আগে থেকে উত্তেজনা চলছিল। "আহমদীয়া এবং কওমি মাদ্রাসার লোকেদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। ওখানে কওমি মাদ্রাসার পাশেই আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেদের মসজিদ ও বাড়িঘর। এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ দুই রকম বক্তব্য দিয়েছে, কিন্তু আমরা শুরু থেকেই ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি।" কান্দিপাড়ায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। মিঃ হোসেন জানিয়েছেন, দুই পক্ষকে নিয়ে আজ বৈঠক করেছেন তারা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কান্দিপাড়ায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, বিশেষ করে আহমদীয়া জামাতের মানুষেরা যে এলাকায় বাস করেন সেখানে। কান্দিপাড়ার একজন নারী বলছেন, গত রাতের পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কেউই বাড়ির বাইরে বেরুতে পারেনি। "কাল রাতে ওদের (হামলাকারী) ইট এবং ঢিলে আমার বাড়ির টিনের চাল বাঁকা হয়ে গেছে। বাড়ির বেড়া সব ভেঙে ফেলছে। রাত থেকে আমার দেবর, ছেলে এবং মেয়ের জামাই কেউ ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারে নাই। আজকে সারাদিন ধরে বাড়ির চারপাশে তারা ঘুরতেছে, মাঝেমধ্যে ঢিল মারতেছে। আমরা ভয়ের মধ্যে আছি।" ২০১৫ সালে রাজশাহীতে আহমদীয়াদের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পর স্থানীয় লোকজনের ভিড়। কান্দিপাড়ায় প্রায় পৌনে তিনশ আহমদীয়া পরিবার বাস করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা শহরের মূল সমাজ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করেন। বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন জেলায় হামলা ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা। সুন্নি মতাদর্শে বিশ্বাসী কিছু সংগঠন আহমদীয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি করে আসছে। কিন্তু অধিকার কর্মীরা মনে করেন, সংখ্যায় যত কমই হোন, আহমদীয়াদের নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, "শুধু আইন করলেই হবে না। তবে এখনো দেরি হয়ে যায়নি, সরকারের উচিত এরা (আহমদীয়া) যেহেতু সংখ্যায় এত কম, এদের সাংগঠনিক শক্তি এত কম এবং যারা এদের ওপর হামলা চালায়, তারা নানাভাবে রাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে, সেই প্রশ্রয়টা বন্ধ করে আহমদীয়ারা যাতে কোন ধরনের হামলার শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।"
বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মঙ্গলবার আহমদীয়া জামাতের বার্ষিক জলসা চলার সময় তাদের একটি মসজিদে এবং আশেপাশের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সৌদি টাকার খুবই প্রয়োজন এখন পাকিস্তানের এই সঙ্কটের মাঝে রোববার পাকিস্তান সফরে আসছেন ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস নামেও পরিচিত। তাকে খুশী করতে যতটা মেহমানদারি সম্ভব সব কিছুরই আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদে বিবিসির আবিদ হুসেইন বলছেন - কারণ খুব সহজ: তার টাকা চাই, অনেক টাকা এবং সেটা চাই খুব দ্রুত। এবং ইঙ্গিত রয়েছে, এমবিএস পাকিস্তানকে কয়েকশ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেবেন। অবশ্য সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্কের গভীরতা শুধু টাকা দিয়ে বিচার্য নয়। কেমন আড়ম্বর হবে এমবিএসের পাকিস্তান সফরে এমবিএসের সফর উপলক্ষে পাকিস্তানে এবার যে তোড়জোড় তেমনটি শেষবার দেখা গিয়েছিল যখন ২০০৬ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ এসেছিলেন। ইমরান খান নিজে বলেছেন, নিরাপত্তার দিকটি তিনি নিজে দেখছেন। সফরটি এমন সময় হচ্ছে যখন ভারত-শাসিত কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রোববার যখন এমবিএসের বিমান পাকিস্তানের আকাশ সীমায় পৌঁছুবে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান পাহারা দিয়ে ইসলামাবাদে আনবে। সে সময় অন্য সমস্ত বিমান চলাচল স্থগিত থাকবে। যুবরাজ সালমানের সফর সঙ্গীর সংখ্যা এক হাজার। তাদের জন্য ইসলামাবাদের পাঁচ তারকার হোটেলে প্রায় সব রুম বুক। ৩০০ টয়োটা ল্যান্ডক্রজার গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছ সৌদি যুবরাজ থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। এই সম্মান এর আগে আর কোনো বিদেশী অতিথি কখনই পাননি। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় হাজার হাজার পায়রা একসাথে আকাশে ছাড়া হবে। পুলওয়ামা হামলা: পাকিস্তানকে কী করতে পারে ভারত বদির তিন ভাইসহ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ 'আমার প্রজন্মকে উগ্রপন্থী বানিয়েছে সালমান রুশদী' ২০১৬ সালে ইসলামাবাদ সফরে এমবিএস। তখনও তিনি যুবরাজ হননি। কেন টাকার জন্য মরিয়া পাকিস্তান? পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন মাত্র ৮০০ কোটি ডলার। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আমদানির পাওনা শোধ করা যে কোনো সময় কঠিন হয়ে পড়বে। আই এম এফ-এর কাছ থেকে জরুরী সাহায্য নেওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। চাইছেন। কঠোর শর্তের কারণে সেই সাহায্য যেন খুব বেশি না নিতে হয়, তার জন্য ইমরান খান বিদেশী বন্ধু দেশগুলোর কাছ থেকে সাহায্য চাইছেন। ১৯৮০র দশক থেকে পাকিস্তানকে ১৩ বার আইএমএফ-এর মুখোমুখি হতে হয়েছে। যুবরাজ সালমানের সফরের ঠিক কদিন আগে এসেছিলেন আবুধাবির যুবরাজ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সে সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে পাকিস্তান ৩০০০ কোটি ডলার সাহায্য পাওয়ার আশা করছে। সৌদি যুবরাজ কোথায় কোথায় বিনিয়োগ বা সাহায্যের প্রস্তাব দেবেন, তা নিশ্চিত নয়, তবে বন্দর নগরী গাদারে ৮০০ কোটি ডলারের নতুন একটি তেল শোধনাগারে সৌদি বিনিয়োগ আশা করছে পাকিস্তান। চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে এখন যে ৬০০০ কোটি ডলারের ব্যবসা হচ্ছে, তার জন্য গাদার বন্ধর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা সাহায্যের সাথে এত বেশি শর্ত জোড়া থাকে যে তা নিয়ে পাকিস্তানের সরকার সবসময় দোটানায় থাকে। ইরানের নেতাদের পোস্টার হটিয়ে এমবিএসের পোস্টার টাঙানো হয়েছে সৌদিদের স্বার্থ কী পাকিস্তানের যেমন সৌদি টাকা প্রয়োজন, সৌদি আরবেরও পাকিস্তানকে দরকার। ইয়েমেনের যুদ্ধ এবং সাংবাদিক খাসোগজির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজ যে ইমেজ সঙ্কটে পড়েছেন, তারই প্রেক্ষাপটে তার পাকিস্তানে এই সফর। তিনি পাকিস্তানের মত নির্ভরশীল বন্ধু দেশগুলোর কাছ থেকে আরো ভরসা চাইছেন। তার জন্য দাম দিতেও তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও পাকিস্তানের অন্যান্য অনেক গুরুত্ব রয়েছে সৌদিদের কাছে। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বহুদিনের। চার দশক আগে যখন মক্কার পবিত্র স্থাপনাগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, তা মোকাবেলায় পাকিস্তানী সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। লন্ডনের দি ইকোনমিস্ট সাময়িকীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শশাংক যোশী বলেন, "এটা সবসময় ধরেই নেয়া হয় যে সৌদি আরব যদি কখনো কোনো বড় নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়ে, পাকিস্তান সৈন্য সরবরাহ করবে।" "সৌদি আরবের অনেক পয়সা থাকতে পারে, কিন্তু সামরিক শক্তি তাদের সীমিত। তেমনি পাকিস্তানের টাকা পয়সা কম, কিন্তু খুবই শক্তিশালী একটি সেনাবাহিনী তাদের রয়েছে।" এছাড়াও, মি. যোশী বলেন, প্রকাশ্যে এ কথা কখনো বলা না হলেও, একটি ধারণা রয়েছে যে যদি সৌদি আরবের কখনো পরমাণু বোমা বানানোর প্রয়োজন হয়, পাকিস্তানই সেই প্রযুক্তি তাদের দেবে। এছাড়া, পাকিস্তান যেহেতু ইরানের প্রতিবেশী একটি দেশ, সে কারণেও পাকিস্তানের সাথে বিশেষ সম্পর্কের ব্যাপারে সৌদি আরব উদগ্রীব। ইরান নিয়ে সৌদি স্পর্শকাতরতার কথা ভেবে যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমানের ইসলামাবাদে নামার আগে নগরীর সমস্ত জায়গা থেকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে টাঙানো সমস্ত পোস্টার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ইয়েমেনের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত না হওয়ার পাকিস্তানের সিদ্ধান্তে সম্পর্ক সম্প্রতি কিছুটা চটলেও, এই দুই মুসলিম দেশের পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতার কোনো বিকল্প এখনও নেই।
পাকিস্তানের অর্থসঙ্কট এখন চরমে। বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে মাত্র ৮০০ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। বাজেট ঘাটতি বেড়েছে চলেছে। বিদেশী সাহায্যের এতটা প্রয়োজন সাম্প্রতিক সময়ে কখনই হয়নি পাকিস্তানের।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জেরুজালেমে পাশাপাশি উড়ছে আমেরিকা এবং ইসরায়েলের পাতকা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে বাম ঘরানার সবচেয়ে সুপরিচিত রাজনীতিক সেনেটর বার্নি স্যান্ডারস্‌ বলেছেন ইসরায়েলকে পাঠানো টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করা হচ্ছে সেদিকে “গভীর দৃষ্টি“ দিতে হবে। ইসরায়েল কী পায় এবং কোন কাজে তা লাগায়? ২০২০ সালে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন (৩৮০ কোটি) ডলার সাহায্য দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলে ইসরায়েলকে দীর্ঘমেয়াদী যে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার অধীনেই এই সাহায্য গেছে। প্রায় পুরোটাই ছিল সামরিক সাহায্য। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলের সাথে এক চুক্তি সই করেন যার অধীনে ২০১৭-১৮ সাল থেকে তার পরবর্তী ১০ বছর ইসরায়েল ৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ৩৮০০ কোটি ডলার সামরিক সাহায্য পাবে। তার আগে দশ বছরের তুলনায় ঐ সাহায্য বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ। এ বাদেও, গত বছর ইসরায়েলে নতুন অভিবাসীদের পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছে। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে ইহুদিরা ইসরায়েলে গিয়ে বসতি গড়তে চাইলে তাকে স্বাগত জানানোর নীতি বহুদিন ধরে সেদেশে রয়েছে। কীভাবে আমেরিকার টাকা খরচ করে ইসরায়েল? ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক একটি সামরিক শক্তিধর দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে সাহায্য করছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কেনার জন্য তহবিল যোগানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ইসরায়েল আমেরিকা থেকে ৫০টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনেছে যা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো যায়। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ১০ কোটি ডলার। ২৭টি বিমান ইতিমধ্যেই ইসরায়েল পেয়ে গেছে। বাকিগুলো পাওয়ার অপেক্ষায়। গত বছর ইসরায়েল আমেরিকার কাছ থেকে ২৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে আটটি কেসি-৪৬এ বোয়িং ‘পেগাসাস‘ বিমান কিনেছে। এই বিমান থেকে আকাশে এফ-৩৫ বিমানে জ্বালানি তেল ভরা যায়। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম‘ ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ২০২০ সালে ইসরায়েলকে আমেরিকা যে ৩৮০ কোটি ডলার দিয়েছে, তার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। এর মধ্যে রয়েছে ‘আয়রন ডোম‘ ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা যা দিয়ে ইসরায়েল রকেট হামলা প্রতিহত করে। ২০১১ সাল থেকে আমেরিকা ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম‘ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ১৬০ কোটি ডলার দিয়েছে। এ ছাড়াও, গাযায় গোপন সুড়ঙ্গ শনাক্ত করা সহ বেশ কিছু সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তৈরিতে আমেরিকা ইসরায়েলকে তহবিল ছাড়াও বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। ইসরায়েলের সরকার সমরাস্ত্র কেনা এবং সামরিক প্রশিক্ষণে বহু টাকা খরচ করে যার অনেকটাই আসে আমেরিকার দেওয়া সাহায্য থেকে। অন্যান্য দেশকে দেওয়া সাহায্যর সাথে তুলনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার কাছ থেকে একক দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে ইসরায়েল। ইউএসএইডের দেওয়া পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের পর আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য গেছে ইসরায়েলে। আফগানিস্তানকে দেওয়া সাহায্যের সিংহভাগই খরচ হয়েছে সেদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমেরিকান সৈন্যদের বিভিন্ন চেষ্টার পেছনে। কিন্তু এখন যখন আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, ২০২১ সালে সেদেশের জন্য মাত্র ৩৭ কোটি ডলার সাহায্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ছাড়া মিশর এবং জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সাহায্যের অন্যতম প্রধান দুই গ্রহীতা। এই দুটো দেশের সাথেই অতীতে ইসরায়েলের যুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তারা দুই দেশই পরে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে। ২০১৯ সালে মিশর আমেরিকার কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার সাহায্য পেয়েছে। জর্ডানও একই পরিমাণ টাকা পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় এসে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া মানবিক সাহায্যের কিছুটা (২৩ কোটি ৫০লাখ ডলার) ছাড় করেছেন। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সাহায্য বন্ধ করে দেন। আমেরিকা ইসরায়েলকে কেন এত সাহায্য দেয়? আমেরিকা কেন ইসরায়েলকে এত সাহায্য দেয় তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক। ১৯৪৮ সালে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ছিল আমেরিকার। তাছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে কৌশলগত-ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসাবে বিবেচনা করে আমেরিকা - যে দুই দেশের লক্ষ্য অভিন্ন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখোমুখি হয়ে গাযায় ইসরায়েলি বোমা হামলার প্রতিবাদ করছেন মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ সার্ভিস বলছে: “ঐ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে এবং জোরদার করতে আমেরিকার সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।“ “মার্কিন প্রশাসন এবং দেশের অনেক রাজনীতিক বহুদিন ধরেই ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করেন।“ যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থা (ইউএসএইড) বলছে, “মার্কিন সাহায্যের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সম্ভাব্য ঝুঁকির মোকাবেলায় সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল।“ আমেরিকার সরকারি এই সংস্থাটি আরো বলছে, “আমেরিকান সাহায্যের উদ্দেশ্য ইসরায়েল যেন যথেষ্ট নিরাপদ থাকতে পারে যাতে তারা ফিলিস্তিনিদের সাথে এবং বৃহত্তর একটি আঞ্চলিক শান্তি স্থাপনে আস্থা এবং উৎসাহ পেতে পারে।“ আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন ফিলিস্তিন ইসরায়েল লড়াই কেন বাইডেনের বড় মাথাব্যথার কারণ গুগল ম্যাপে গাযার স্যাটেলাইট ছবি কেন ঝাপসা ইসরায়েল যাতে মধ্যপ্রাচ্যে হুমকি মোকাবেলা করতে পারে তা নিশ্চিত করা বহুদিন ধরেই আমেরিকার বিদেশ নীতির মুখ্য একটি উদ্দেশ্য। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুটো দলই দশকের পর দশক ধরে কোনো বিতর্ক ছাড়াই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে। ২০২০ সালেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ইসরায়েলের প্রতি “লৌহ-বর্ম“ সমর্থনের প্রতিশ্রুত দেয়। কিন্তু সম্প্রতি দলের বাম এবং প্রগতিশীল একটি অংশ ইসরায়েলের প্রতি এতদিনের প্রশ্নাতীত এই সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ইসরায়েলকে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির যে প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন তা স্থগিত করার দাবি তুলেছেন সেনেটর স্যান্ডারস্‌ সহ কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশ কজন সদস্য।
আমেরিকা থেকে ইসরায়েলের জন্য কত সাহায্য যায় তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজের দলের ভেতর থেকেই বেশ কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। গাযায় লড়াই শুরু পর এই চাপ বেড়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জমতে থাকা প্লাস্টিক নিয়ে বিপদে পরেছে জাপান গৃহস্থালীর পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য দিনদিন জমা হচ্ছে জাপানের কারখানাগুলোতে। আর জাপানের প্লাস্টিকের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্লাস্টিক সমস্যার সমাধানে জাপানের মনোভাবের কারণেই এই সমস্যার তৈরী হচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশী প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়, জাপান তার মধ্যে একটি। মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের হিসেব করলে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জাপানের অবস্থান। প্লাস্টিক বর্জ্যের বিষয়ে জাপানের একজন বিশেষজ্ঞ ইউ জন সু বলেন পুনর্ব্যবহারের হিসেবে জাপান অনেক উন্নত হলেও, প্লাস্টিকের মূল সমস্যার সমাধানে ক্ষেত্রে অনেকটা উদাসীন তারা। মি. সু বলেন, "জাপান প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়। জাপান বিশ্বাস করে পুনর্ব্যবহার করেই তারা প্লাস্টিক সমস্যার সমাধান করছে।" আর এই মনোভাবের ফলে জাপানের প্লাস্টিক সমস্যার আসল ক্ষতিকর দিকগুলো অনেকটাই চাপা পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন মি.সু। আরো পড়ুন: যে কারণে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে ঢুকে পড়ছে প্লাস্টিক, বিপদের মুখে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারে জাপানিদের মনোভাব কী? জাপানের রাজধানী টোকিওর অধিকাংশ বাসিন্দার মতই কিয়োকো কাওয়ামুরা তাঁর রান্নাঘরের বর্জ্য আলাদা করে রাখেন। রিসাইক্লেবল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যগুলো একসাথে, আর যেগুলো পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য সেগুলো একত্রিত করে রাখছিলেন মিজ. কাওয়ামুরা। আর এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের প্রায় পুরোটাই প্লাস্টিক। মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের হিসেবে জাপান বিশ্বে দ্বিতীয় মিজ. কাওয়ামুরা বলছিলেন পরিবেশবান্ধব চিন্তা করার এই অভ্যাসটা ছোটকাল থেকে স্কুলেই শেখানো হয়েছে তাঁকে। মিজ. কাওয়ামুরা বলেন, "আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই আমাকে শিখিয়েছে পৃথিবীর জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করতে। বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় যেখান থেকে, সেই জায়গাটা গুছিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব, যেন বর্জ্য সংগ্রহ করতে যারা আসে তারা যেন পুনর্ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট বর্জ্য সহজে নিয়ে যেতে পারে।" কেন তৈরী হচ্ছে জটিলতা? জাপানে গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য ও শিল্প কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় আলাদা কারখানায়। শিল্প কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য সাধারণত উচ্চমানের হয়ে থাকে এবং তা দিয়ে যেসব পণ্য তৈরী হয় সেগুলোর চাহিদাও থাকে বাজারে। কিন্তু গৃহস্থালীর প্লাস্টিক বর্জ্য সাধারণত নিম্নমানের হয়ে থাকে এবং সেগুলো দিয়ে তৈরী হওয়া পণ্যেরও তেমন একটা চাহিদা থাকে না। জাপান এতদিন গৃহস্থালীর প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে তৈরী করা পণ্য চীনে রপ্তানি করতো। কিন্তু এবছরের শুরু থেকে চীন এই ধরণের পণ্য আমাদানি নিষিদ্ধ করেছে। কাজেই জাপানের বিভিন্ন কারখানায় পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাহাড় তৈরী হচ্ছে। জমতে থাকা এই প্লাস্টিকের কোনো গতি না হলে, এগুলোরও হয়তো শেষ ঠিকানা হবে সমুদ্রেই। সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্য আরো পড়তে পারেন: প্লাস্টিক রিসাইকেলের কারণে কি দূষণ কমছে?
বিশ্বে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারের হিসেবে জাপান অন্যতম শীর্ষে থাকলেও সম্প্রতি এনিয়ে কিছুটা বিপদে পরেছে তারা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঢাকার সাভার ও ঝালকাঠির কাঠাঁলিয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। (ছবিটি প্রতীকী) মৃতদেহের গলায় বাধা একটি কাগজে লেখা, ''আমার নাম......মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।'' এর আগে গত ১৭ই তারিখে সাভারে আরেকটি ধর্ষণ মামলার আসামীর মৃতদেহ পাওয়া যায়, যার গলাতেও একটি কাগজে লেখা ছিল, ''আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা।'' উভয় ঘটনাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা মারা গেছেন বলে পুলিশ জানালেও, কারা তাদের হত্যা করেছে - তা পুলিশ জানাতে পারেনি। আসামী নিহত হওয়ার পরে ভয়ে পালাচ্ছেন বাদীরা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত একজনের মৃতদেহ পাওয়ার পর হামলার আশংকায় পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারটি। অভিযোগ ওঠে, গত ১৪ই জানুয়ারি দুপুরে নানাবাড়ি যাবার পথে গণ ধর্ষণের শিকার হন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থানার একজন মাদ্রাসা ছাত্রী। তিনদিন পরে ওই ছাত্রীর পিতা প্রতিবেশী এক কিশোর ও একজন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলার নিহত যুবকের বাড়ি ছিল ওই ছাত্রীদের বাড়ির কাছেই। ছাত্রীটির বাবা এবং মামলার বাদী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''নানাবাড়ি যাবার পথে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করায় আমি দুইজনকে আসামী করে মামলা করেছি। তাদের একজনকে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে শুনেছি।" "এরপরে তারা আমাদের সবাইকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, মারধরের চেষ্টা করছে। তারা নাকি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলেও বলছে।'' তিনি জানান, হামলার ভয়ে তাদের পরিবারের সবাই এখন অন্যত্র লুকিয়ে আছেন। পুলিশও তাদের নিরাপদে থাকতে বলেছে। তবে নিহত যুবকের পরিবার ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, তাদের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ এনে এখন ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন তারা। আরো পড়ুন: এক বছরে বাংলাদেশে ১ হাজারেরও বেশি ধর্ষণ ধর্ষণ নিয়ে টিভিতে হাস্যরসের পর ফেসবুকে ঝড় স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা নিহত যুবকের চাচা শাহিন জমাদ্দার বলছেন, ''আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক ....তাকে মারেনি, তাহলে তাকে হত্যা করলো কে?" "আমরা মনে করি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওরাই (ধর্ষণের অভিযোগ তোলা পরিবার) তাকে হত্যা করেছে। এখন আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'' তিনি জানান, ঘটনার পরে ঢাকায় চলে এলেও বুধবার থেকে অভিযুক্ত যুবকটি নিখোঁজ ছিল। সেদিন কয়েক সেকেন্ড পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হলেও পরবর্তীতে আর কোন যোগাযোগ হয়নি। মামলায় অভিযুক্ত আরেক কিশোরকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়ার পর পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারটি। (ছবিটি প্রতীকী) পুলিশ কী বলছে? পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থানায়, ফলে সেই থানাতেও ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মোঃ শাহাবুদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''গত ১৭ই জানুয়ারিতে আমাদের থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করেছি, কিন্তু অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।" "তবে জানতে পেরেছি, পাশের থানায় একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর বেশি কিছু আমাদের জানা নেই।'' পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি থানার কাঁঠালিয়া থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, রাস্তার পাশে মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান, যার মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। "পরে আমরা সনাক্ত করি যে, তিনি পাশের ভাণ্ডারিয়া থানার একটি গণ ধর্ষণ মামলার আসামী।" তার গলায় বাধা একটি কাগজে লেখা রয়েছে, ''আমার নাম......মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।'' কিন্তু কে বা কারা, কেন তাকে মেরেছে - সে বিষয়ে কোন তথ্য তারা জানতে পারেননি। সাভার ও কাঁঠালিয়া হত্যাকাণ্ডের মিল বাংলাদেশে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের দুইটি উপজেলায় দশ দিনের ব্যবধানে দুইটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মিল দেখা গেছে। দুইক্ষেত্রেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। নিহত হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। যে উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে পাশের উপজেলায়। দুইটি মৃতদেহের গলায় ধর্ষণে স্বীকারোক্তিমূলক বার্তা ঝোলানো ছিল। সাভারের ওসি মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দশদিন আগের ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তারা নতুন আর কিছু জানতে পারেননি। "কারা বা কেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার কোন তথ্য নেই আমাদের কাছে," তিনি বলেন। কোন বিশেষ গোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কিনা সেরকম কোন তথ্য নেই পুলিশের দাবি। আবার এসব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত কিনা, সেটিও তারা জানাতে পারছেন না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রিজার্ভ চুরি: মামলা করতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন কর্মকর্তারা ‘আমাকে সৌদি আরব ছাড়তে হয়েছিল যে কারণে’ মুগাবের ব্রিফকেস ভর্তি মিলিয়ন ডলার কই গেলো? ইটভাটাগুলোয় এত শিশুকিশোর কাজ করছে কেন? বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অনেক মামলার অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায় বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কী মনে করছেন বিশ্লেষকরা ঘটনার ধরণ দেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকেই আঙ্গুল তুলতে চান মানবাধিকার কর্মী ও অপরাধ বিশ্লেষক নূর খান লিটন। নূর খান লিটন বলছেন, ''প্রথম কথা হচ্ছে যে, যখন আমাদের এখানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়, তখন দেখা যেতো যে শুধু মৃতদেহ পাওয়া যেতো, কিন্তু আর কোন তথ্য পাওয়া যেতো না। পরে দেখা যেতো সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেছে।" "নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, এ ধরণের অনেক ঘটনায় তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে।'' সাভারের ধর্ষণ মামলার অভিযুক্তের মৃত্যু এবং গলায় লেখা কাগজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর কার্যকলাপ অনেক সময় সমাজে ভীতি তৈরি করতে সহায়তা করে। যেমন বিভিন্ন ক্রসফায়ারের ঘটনায় তাদের কাছ থেকে একই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে। ''সাভার ও কাঁঠালিয়ার এই ঘটনায় একধরণের মিল পাওয়া গেছে। তাই অনেকে ধারণা করছেন এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা থেকে থাকতে পারে, যদিও সেটার প্রমাণ এখনো নেই,'' তিনি বলেন। তবে দেশের কয়েকটি এলাকায় এর আগে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার আসামীদের পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। গতবছরের এপ্রিলে কক্সবাজারে ও মে মাসে সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক-যুদ্ধে শিশু ধর্ষণ মামলার দুই আসামি নিহত হন। এর আগে ২০১৪ সালে উত্তরায় নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করে একজন কলেজ ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ডিবির সঙ্গে "বন্দুক যুদ্ধে" নিহত হন। বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাবে, বাংলাদেশ বছরে একহাজারের বেশি নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হন।
দশদিন আগে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পিরোজপুরের একটি থানায় মামলা হয়েছিল। শনিবার দুপুরে পাশের উপজেলায় তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
একজন মহিলার পেটের ভেতর থেকে পাওয়া গেছে ১০৬টি ক্যাপসুল গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে গত সপ্তাহে রাজধানী দিল্লীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া মাদকের মূল্য আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন রুপির মতো। কোকেন ক্যাপসুল বের করে আনার জন্য ওই মহিলাকে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ল্যাক্সাটিন ওষুধ দেয়া হয়েছিল বলে খবরে বলা হয়েছে। আরও পড়ুন: সীমান্ত থেকে মাদক যেভাবে ঢাকায় যায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১৬ দিনে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১৮ পুলিশের ধারণা, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ওই নারীর পাকস্থলীতে মাদক প্রবেশ করা হয়। এরপর তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ভারতে একজন নাইজেরীয় নাগরিকের কাছে কোকেনগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য। ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাকে বলেন, এ পর্যন্ত কোনও মানুষের শরীর থেকে বের করে আনা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কোকেন ক্যাপসুল উদ্ধারের ঘটনা এটাই। এগুলো কলম্বিয়ার উচ্চ মাত্রা সম্পন্ন কোকেন। বিভিন্ন স্থানে যেসমস্ত সস্তা কোকেন পাওয়া যায় সেগুলোর মতো নয় এই ক্যাপসুলগুলো। পুলিশ এখন সেই নাইজেরীয় নাগরিককে খুঁজছে যার কাছে ওই নারীর এসব মাদক পৌঁছানোর কথা ছিল।
ভারতের পুলিশ বলছে, একজন নারীর পাকস্থলী থেকে তারা সফলভাবে ১০৬টি কোকেন ক্যাপসুল বের করে এনেছে। ব্রাজিল থেকে সে এভাবে মাদক বহন করে এনেছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থার গাড়ির গ্যারাজে কাজ করেন তিনি। বাংলাদেশে সাধারণত পুরুষদেরকেই এই কাজ করতে দেখা যায়। তবে তার বাবা মাকে দেখাশোনা করতে গিয়েই রাব্বি আপাকে এই কাজটি শুরু করতে হয়। স্বামীর চেয়েও বেশি রোজগার করেন তিনি। সেকারণে স্বামী তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে শিশুদের দেখাশোনা করতে শুরু করেন। ত্রিশোর্ধ নারীদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে বিবিসি বাংলার ধারাবাহিক 'তিরিশে ফিনিশ'-এর এই গল্পটি রাবেয়া সুলতানা রাব্বির জীবন সংগ্রামের। #তিরিশেফিনিশ?
তার নাম রাবেয়া সুলতানা রাব্বি, কিন্তু সবাই তাকে ডাকে রাব্বি আপা, একজন মোটর মেকানিক।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বিধিনিষেধ চলাকালে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। গত কয়েকদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রিকশা উল্টো করে রাখতে দেখা গেছে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বিবিসিকে জানিয়েছেন, সচিবদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। অচিরেই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সকালে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়, এতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রধানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বিবিসিকে বলেন, তারা আরো দুই সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সকালে সচিবদের বৈঠকে এক সপ্তাহ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এদিকে সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, "ঈদের আগে শিথিল করার চিন্তা আছে"। এর আগে, রবিবার রাতে এক বৈঠক করে চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এতে বলা হয়, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউন দিয়ে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না বলেও পরামর্শক কমিটির সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। গত চৌদ্দই এপ্রিল শুরু হওয়া এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হবার কথা ছিল একুশে এপ্রিল মধ্যরাতে। লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হতে যা করতে হবে কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বাংলাদেশে ফুসফুসের অসুখের যেসব মূল কারণ, যেভাবে সুস্থ রাখবেন বাংলাদেশে 'লকডাউন' কার্যকর করতে রাস্তায় নামে পুলিশ। প্রতি পনের মিনিটে এক জনের মৃত্যু: গত কয়েকদিন ধরে নতুন রোগী শনাক্তের পরিমান কিছুটা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার পর্যন্ত টানা তিনদিন প্রতিদিন শতাধিক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে গত তিনদিনের মৃত্যুহার বিবেচনা করলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। আর এপ্রিল মাসের মৃত্যু হার বিবেচনা করলে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এই মাসে প্রতি ১৮ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যুর কথা সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের ১৮ই মার্চ। তবে গতকালের আগে পর্যন্ত এই ১৩ মাসে মৃতের সংখ্যা এর আগে কখনোই তিন অংক ছোঁয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের হার ১৯.০৬ শতাংশ। কারিগরি কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরী সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকাও প্রকাশ করার অনুরোধ করা হয়। সেটি না হলে বিরুপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সম্প্রতি লকডাউনের সময় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশে 'লকডাউন' কার্যকর করতে পারেনি সরকার। একই সাথে খোলা জায়গায় বাজার বসানো যেতে পারে বলেও প্রস্তাব করা হয়। করোনা সনাক্ত পরীক্ষা মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে সরকারি নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পিসিআর টেস্ট কিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মূল্য পুনর্নিধারণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে উল্লেখ করে প্রস্তাবে বলা হয়, রোগীদের পরীক্ষা রিপোর্ট দ্রুত দিয়ে আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গর্ভবতী করোনা আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয় এমন নারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। প্রয়োজনে নতুন ডিএনসিসি হাসপাতালে মায়েদের জন্য বিশেষায়িত আইসিইউ ব্যবস্থা নিশ্চিতেরও পরামর্শ দেয়া হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান সর্বাত্মক লকডাউন বা 'বিধিনিষেধ' আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নিকোলাস মাদুরো (বামে) ও হুয়ান গোয়াইদো কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার ভাষায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছেন, দেশে গৃহযুদ্ধ দেখা দেবার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিতে পারছেন না। দেশটিতে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেবার জন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলো প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে আট দিনের এক আলটিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু নিকোলাস মাদুরে এ আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সোমবার। এর পরই ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং ব্রিটেনের মতো প্রধান ইউরোপিয়ান দেশগুলো ঘোষণা করে যে তারা মি. গোয়াইদোকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তিনিই এখন নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ভেনেজুয়েলার গত নির্বাচনের মাধ্যমে মি. গোয়াইদো পার্লামেন্টের স্পিকার হয়েছেন, এবং সেই ভুমিকাই তাকে গণতান্ত্রিক বৈধতা দিয়েছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোঁ এর পরপরই মি. গোয়াইদোর প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন টুইটারে এক বার্তার মাধ্যমে। কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ বিরোধী নেতা হুয়ান গোয়াইদোকে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কয়েকটি ল্যাটিন আমেরিকান দেশও মি. গোয়াইদোকে সমর্থন দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন তিনি সামরিক হস্তক্ষেপ সহ সব বিকল্পই বিবেচনায় রাখছেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ইতিমধ্যে ভেনেজুয়েলায় জরুরি সাহায্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেবার কথা বলেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার দেশে তার ভাষায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের পাগলামি এবং আগ্রাসনের কারণে দেশটিতে এখন এক গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না। মি. মাদুরো এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই সংকটে যদি মি ট্রাম্প সামরিক হস্তক্ষেপ করেন তাহলে তাকে 'রক্তমাখা হাত নিয়ে' হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর সমর্থন এখনো মি. মাদুরোর পক্ষে মি. মাদুরোর ওপর চাপ বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু তিনি মনে করেন তার একজন মিত্র এখনো আছেন যার ওপর তিনি নির্ভর করতে পারেন। তিনি হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিন ইতিমধ্যেই ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে 'বিদেশী হস্তক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে। বিরোধী নেতা মি. গোয়াইদোর বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অবৈধ চেষ্টার অভিযোগ এনে রাশিয়া বলেছে যে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সহায়তা দিতে মস্কো প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে। রাজধানী কারাকাসে গণবিক্ষোভ ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় শনিবার মি মাদুরো পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেনাবাহিনীর দু-একজন অফিসার মি. গোয়াইদোর পক্ষে সমর্থন দিলেও বেশির ভাগ সেনা কর্মকর্তাই এখনো মি. মাদুরোর সমর্থক। কিন্তু মি গোয়াইদোও হাল ছাড়ছেন না। দু'পক্ষই নজর রাখছে - সেনাবাহিনী কার পক্ষ নেয়। মি মাদুরো ইতিমধে্ আইনসভার নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলছেন, বিরোধীদলের মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে, এবং নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই।
ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলতে থাকার মধ্যেই কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ একযোগে দেশটির বিরোধী নেতা হুয়ান গোয়াইদোকে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় পরিস্থিতি এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ফল, সবজি এবং বাদামী রুটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে; এমনকি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের মতো রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে। পাশাপাশি আপনার ওজন, রক্তচাপ এবং কোলস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রাখে এটি। এখানে বলে রাখা উচিত যে এটি একেবারেই সস্তা এবং আপনার আশেপাশের দোকানেই পাওয়া যায়। বাংলাদেশে মি-টু? মডেল প্রিয়তির অভিযোগে ফেসবুকে আলোড়ন গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কেন নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে যা বললেন তোফায়েল কী এই খাবার? এটি আসলে আঁশ বা আঁশজাতীয় খাদ্য। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করেছেন কী পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার আমাদের নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন এবং এর কী কী স্বাস্থ্যগত দিক রয়েছে। গবেষকদের একজন জন কামিন্স বিবিসি'কে বলেন, "এই ধরণের খাবারের গুণাগুণ সম্পর্কে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।" কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই ধরণের খাবারের ভূমিকা সর্বজনবিদিত, কিন্তু এর বাইরেও নানা ধরণের পুষ্টিগুণ রয়েছে আঁশজাতীয় খাবারের। কী পরিমাণ আঁশ আমাদের প্রয়োজন? নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ গ্রাম আঁশ আমাদের খাওয়া প্রয়োজন। তবে এটিকে 'পর্যাপ্ত' পরিমাণ বললেও তাদের মতে, ৩০ গ্রামের বেশি আঁশ খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। কোন খাবারে কী পরিমাণ আঁশ বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই দিনে ২০ গ্রামের চেয়ে কম পরিমাণ আঁশ খেয়ে থাকে। একটি কলার ওজন প্রায় ১২০ গ্রাম হলেও এর মধ্যে আঁশের পরিমাণ থাকে ৩ গ্রামের কাছাকাছি। যুক্তরাজ্যে একজন নারী গড়ে দিনে ১৭ গ্রাম এবং একজন পুরুষ গড়ে ২১ গ্রাম আঁশ খাওয়ার সাথে গ্রহণ করে থাকে। ফল এবং সবজির পাশাপাশি কয়েক ধরণের সিরিয়ালে, সম্পূর্ণ গম দিয়ে তৈরি রুটি বা পাস্তায়, মটরশুঁটি, ছোলা বা মসূরের ডালে এবং বাদাম ও তেলবীজ জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। যেমন উদাহরণস্বরূপ, এক ফালি বাদামী রুটিতে বা খোসাসহ রান্না করা একটি আলুতে প্রায় ২ গ্রাম আঁশ থাকে। একটি গাজরে প্রায় ৩ গ্রাম আর এক কাপ মসূরের ডালে বা খোসাসহ খাওয়া হলে একটি আপেলে প্রায় ৪ গ্রাম আঁশ থাকে। তবে গবেষক জন কামিন্সের মতে, "খাদ্য তালিকায় বেশি করে আঁশজাতীয় খাবার যুক্ত করা সহজ নয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করাটা বেশ কঠিন একটি বিষয়।" তবে দ্রুত এবং সহজে খাদ্যতালিকায় প্রচুর আঁশ রাখার কিছু কৌশল তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। আঁশের উপকারিতা প্রায় দুই দশক ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং খাদ্যাভ্যাসের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণা করার পর গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে নিয়মিত খাবারে আঁশের মাত্রা ১৫ গ্রাম থেকে ২৫-২৯ গ্রামে উন্নীত হলে প্রতি হাজারে ১৩ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা কমানো সম্ভব। এছাড়া হৃদরোগের হার কমতে পারে প্রতি হাজারে ৬ জনের। এছাড়া অন্ত্রের ক্যান্সার, রক্তচাপ, ওজন এবং টাইপ-টু ডায়বেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ খাবারের সাথে গ্রহণ করলে।
যদি এমন এক ধরণের খাদ্য উপাদানের কথা বলা হয় যা আপনাকে দীর্ঘায়ু করবে, আপনি কি নিয়মিত তা গ্রহণ করবেন?
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষে চীনে যাবার পথে ইন্টারপোল প্রেসিডেন্ট মেং হংওয়ের খোঁজ নেই ইন্টারপোলের সদর দপ্তর, ফ্রান্সের লিয়ন শহর থেকে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি চীনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর থেকে তার পরিবার আর কোন খোঁজ পায়নি। তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, ''তিনি ফ্রান্সে নিখোঁজ হননি''। একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট লিখেছে, ৬৪ বছরের মি. মেংকে চীনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ''ধরে নিয়ে যাওয়া'' হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাই নাটক শেষ হয় যেভাবে মিথ্যা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় কেন চীনের শৃঙ্খলারক্ষী কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে তদন্ত করছে বা কোথায় তাকে রাখা হয়েছে, বলছে হংকংয়ের ওই পত্রিকাটি। মি. মেং এর বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেনি চীনের কর্মকর্তারা। ফরাসি কর্তৃপক্ষ কি তদন্ত করছে? মেং হংওয়ের স্ত্রী ফরাসি পুলিশের কাছে তার স্বামী নিখোঁজ থাকার অভিযোগ জানানোর পর তদন্ত শুরু করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে তাকে উদ্ধৃত করে ফরাসি পুলিশ জানিয়েছিল, গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে তারা মি. মেং এর কোন খোঁজ পাননি। তবে পরে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসলে তারিখটি হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ''চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে'' জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ''ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্টর অবস্থা ফ্রান্স ধাঁধায় পড়েছে এবং তার স্ত্রীর ওপর হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন।'' এর বাইরে আর বিস্তারিত জানায়নি ফরাসি মন্ত্রণালয়। কী কারণে মেং হংওয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হতে পারে চীন? ইন্টারপোল বলছে, মি. মেং এর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তারা অবগত আছে বিবিসির এশিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিয়া হ্যাটন বলছেন, মেং হংওয়ের চীনের নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে দেশটির কম্যুনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। সন্দেহের তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের হঠাৎ করে জনসম্মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই ব্যক্তি নিখোঁজ বলে জানানো হয়। সাধারণত দল থেকে সংক্ষিপ্ত একটি বিবৃতি জারি করা হয় যে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দলের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তার কারাদণ্ডের কোন শাস্তি ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালে শী জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে ১০ লাখের বেশি দলের কর্মকর্তাদের এভাবে শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তবে মেং হংওয়ের ঘটনাটি অনেকগুলো কারণে উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, তার স্ত্রী ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তার স্বামী কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সাধারণত বেশি শাস্তি হতে পারে, এরকম আশংকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা বিদেশি কোন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ তোলেন না। তার স্ত্রী কি ভেবেছেন, তার জন্য এখন আর কোন বিকল্প নেই? একসময় চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্টের মতো লোভনীয় পদ পাইয়ে দিয়েছিল। তিনি যদি চীনা রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যেই নিখোঁজ হন, তাহলে কাকে তিনি ক্ষুব্ধ করে তুলেছিলেন? তিনি এমন করেছেন যাতে, বেইজিং প্রকাশ্যে এভাবে ইন্টারপোলের শীর্ষ পদটি বাতিল করে দেবে? ইন্টারপোলের প্রতিক্রিয়া কী? একটি বিবৃতিতে ইন্টারপোল বলেছে, মি. মেং এর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তারা অবগত আছে। ''এটা ফ্রান্স ও চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়।'' সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯২টি দেশের এই সংস্থাটির প্রতিদিনের কার্যক্রম মহাসচিব দেখভাল করে থাকেন, প্রেসিডেন্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হিসাবে মি. মেং নির্বাহী কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, যা ইন্টারপোলের সার্বিক নীতিমালা এবং পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে থাকে। ২০১৬ সালে তিনি ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মাদক, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এবং সীমান্ত রক্ষার মতো কাজে তার ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইন্টারপোলের দায়িত্ব নেয়ার আগে মি. মেং চীনের জন নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী ছিলেন। তার নির্বাচনের সময় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, এই নিয়োগ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া চীনা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আটক করতে চীনকে সহায়তা করবে। কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক রেড নোটিশ জারি করতে পারে ইন্টারপোল। তবে কোন দেশের ভেতর কর্মকর্তা পাঠিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা নেই সংস্থাটির। বিবিসি বাংলারঅন্যান্য খবর: নির্বাচনকালীন সরকার বিতর্কে বিএনপি চাকরিতে কোটা: যে পাঁচটি তথ্য আপনি জানতে চাইবেন বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার একের পর এক অভিযোগ আসছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রচারণায় সাংবাদিকদের গুরুত্ব কেন?
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট মেং হংওয়ে চীনে যাবার পথে নিখোঁজ হয়ে গেছেন, এরকম একটি অভিযোগ পাবার পর তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিশ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
টঙ্গি যাওয়া পথে সড়কে ভয়াবহ যানজট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ বলছে ভোর থেকেই দু পক্ষের অনুসারীরা পৃথকভাবে জড়ো হতে থাকে। টঙ্গীর ইজতেমা এলাকা ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি সেখানে এখনো অশান্ত রয়েছে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর উদ্দেশ্য যাওয়া সড়কে তীব্র যানজটের কারণে যান চলাচল প্রায় থমকে গেছে। যানজট পৌঁছে গেছে ঢাকার মহাখালী পর্যন্ত । আরো পড়ুন: নির্বাচন আর কান্দালভি বিতর্কে পেছালো ইজতেমা মাওলানা সাদকে ঘিরে তাবলীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি গত কিছুদিন ধরেই তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির কিছু মন্তব্য ও তার মতবাদকে ঘিরে বিতর্ক চলছিলো। সে নিয়ে বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়। এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এমনকি ঢাকার টঙ্গীতে এবার বিশ্ব ইজতেমা করার বিষয়টিও সংকটে পড়েছে। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে এবারের ইজতেমা আয়োজন স্থগিত করে দিয়েছে সরকার। বিভক্তি মেটাতে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে কমিটি করা হয়। এ বছরের শুরুর দিকেও একবার তাবলীগ জামাতের একাংশের কর্মীরা ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল।
ঢাকার কাছে টঙ্গীতে গত কিছুদিন ধরে বিবদমান তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পঞ্চাশ জন আহত হয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চাঁদের দুরবর্তী অংশে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে মহাকাশযান সফলভাবেই পাঠালো চীন কিন্তু অরবিটে প্রথম নভোচারী পাঠানোর মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই চীন বিস্ময় ঘটিয়েছে। সম্প্রতি চাঁদের দূরতম অংশে সফলভাবে ল্যান্ড করিয়েছে চীনের একটি স্পেসক্রাফট। এখানেই শেষ নয়। আসন্ন দশকে নতুন একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করার কথা ভাবছে চীন। পাশাপাশি, চাঁদে একটি বেস ক্যাম্প স্থাপন এবং মঙ্গলে অভিযান চালানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে দেশটি। চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যারোনোটিকেল সোসাইটির ফেলো অধ্যাপক কেইথ হেওয়ার্ড বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, চীনেরও একই অভীষ্ট। প্রথমত, দেশটির সেনাবাহিনী এটি চেয়েছিল। কারণ এই কর্মসূচীতে যত অর্থ খরচ হয়েছে, তাদের আগ্রহ ছাড়া তার অর্ধেকও পাওয়া সম্ভব হতো না। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতা ও সামর্থ্য প্রকাশের জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। তৃতীয়ত, সন্ধান মেলেনি এমন অমূল্য বস্তু বা এনার্জি বা জ্বালানীর সন্ধান। মূলত এই তিন কারণেই মহাকাশ গবেষণায় এতো অর্থ, সময় ও মনোযোগ খরচ করছে চীন। চাঁদে সফল অবতরণের স্থানগুলো মহাকাশ নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা চীনের এই মহাকাশ গবেষণা কর্ম নিয়ে চাপ বোধ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২০১৮ সালে অগাস্ট মাসে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের 'ইউএস স্পেস ফোর্স'-এর কথা। চীনের সর্বশেষ সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমেরিকার বিশেষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার কারণ নেই বলে মনে করেন অধ্যাপক হেওয়ার্ড। কারণ অ্যামেরিকা এখনো মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রচুর খরচা করছে। শুধু নাসার মাধ্যমেই যে এই খরচ হচ্ছে তা নয়। পেন্টাগন-ও ব্যাপক অর্থ খরচ করছে এই খাতে। কিন্তু এটি কি আসলেই মহাকাশে মানুষের নতুন প্রতিযোগিতার শুরু? কারণ চাঁদে চীনের স্পেসক্রাফট পৌঁছানোর মাত্র ক'দিন আগেই নাসার আরেকটি সফল অভিযানের মাধ্যমে বরফ-ঢাকা এক নয়া দুনিয়ার খবর এনেছিল। ঠিক এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে বিষয়টিকে দেখছেন না অধ্যাপক হেওয়ার্ড। চীনের স্পেস স্টেশনের একটি মডেল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ইন্টারন্যাশনাল লুনার এক্সপ্লোরেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বার্নাড ফোয়িং বলছিলেন, যে কোনো ধরণের অগ্রগতি বৃহদার্থে পৃথিবী বাসী সকলের জন্যই কল্যাণের। বার্নাড ফোয়িং আরো বলছিলেন, মহাকাশ গবেষণায় চীন অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে মিলে-মিশে কাজের আগ্রহ-ও প্রকাশ করেছে। তবে, সব দেশ চীনের সাথে মিলে-মিশে কাজ করতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা সহজ হবে না বলেই মনে করেন তিনি। কারণ দ্বিপাক্ষিক ভাবে কারো সাথে নাসা কাজ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধ রয়েছে। তাই, এক্ষেত্রে কিছু করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্পেস পলিসি ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা জন লগসন বলছিলেন, চীন আসলে কারো সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে মহাকাশ গবেষণা করছে না। বরং নিজেদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা থেকেই চীন এতো কিছু করছে। চাঁদের দুরবর্তী অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায়না ম্যাগপাই ও চন্দ্রদেবী চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রোগ্রামে চীনা পৌরাণিক কাহিনীর অনেক উপাদান রয়েছে। যেমন ম্যাগপাই ব্রিজ হচ্ছে চীনের রিলে স্যাটেলাইটের নাম। চীনাদের এইসব নামের পেছনেও রয়েছে দারুণ সব গল্প। যেমন চ্যাঙ-এর কথাই ধরা যাক। চ্যাঙ: চীনের চন্দ্রদেবীর নামানুসারে চন্দ্রাভিযানের নামকরণ হয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, চন্দ্রদেবী ছিলেন দারুণ সুন্দরী এক নারী। তিনি প্রখ্যাত তীরন্দাজ হো-ইকে বিয়ে করেছিলেন। হো-ই অমরত্ব লাভের অমৃত অর্জন করেছিলেন। কিন্তু যেহেতেু অমৃত শুধু একজনের জন্য ছিল তাই হো অমৃত না খেয়ে সেটি চ্যাঙের কাছে নিরাপদে সংরক্ষণ করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন হো-এর এক ছাত্র তা চুরি করে নিতে চায়। চ্যাঙ সেই ছাত্রকে কিছুতেই পরাজিত করতে পারছিল না দেখে অবশেষে নিজেই অমৃত খেয়ে নেয় এবং ভেসে-ভেসে চাঁদের দেশে চলে যায়। সেই থেকে বেদনাভারাতুর হো-ই বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল পূর্ণিমায় তার স্ত্রীর প্রিয় সব খাবার-দাবাড় তার উদ্দেশে উৎসর্গ করে। আর এটি চীনের একটি অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। জেডি রেবিট: চীনের মুন রোভারের নাম দেয়া হয়েছে জেডি রেবিট। চাঁদের দেশে চলে যাওয়া চ্যাঙের একমাত্র সঙ্গী রেবিটের নামানুসারে এই মুন রোভারের নামকরণ। ম্যাগপাই ব্রিজ: চীনের রিলে স্যাটেলাইটের এই নামটি নেয়া হয়েছে আরেক দেবীর এক কন্যার ঘটনা থেকে। সেই কন্যা এক দরিদ্র কৃষকের প্রেমে পড়েছিল। তারা বিয়ে করে, সুখী দাম্পত্য ও সন্তান সন্ততি জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু দেবী যখন তার কন্যার এই কাণ্ডের কথা জানতে পারেন তিনি রেগ আগুন হয়ে যান এবং ক্ষেপে গিয়ে মিল্কিওয়ের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তাদেরকে নির্বাসন দেন। তবে, সেই বিরহী দম্পতির জন্য বেদনা অনুভব করে ম্যাগপাই সিদ্ধান্ত নেয় যে বছরে একবার তারা একটা সাঁকোর মতন তৈরি করবে। যাতে কর বিরহী দুই প্রেমিক-প্রেমিকা বছরে অন্তত একবার পরস্পরের দেখা পায়। এই দিনটিও চীনে বেশ ঘটা করে উদযাপন করা হয়। আর এটিই হচ্ছে আসলে চীনাদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবস। তবে, হ্যা এটি অবশ্যই বলা যায় যে, মহাকাশ গবেষণা শুধু রাজনৈতিক লাভা-লাভের ব্যাপার নয়। চ্যাঙ-৪ এর প্রকৃতই বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে বলছিলেন রয়্যাল এস্ট্রোনমিকেল সোসাইটির ড. রবার্ট মেসাই। ২০১৩ সালে বিবিসির সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ওইয়্যাঙ নিজেও চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা বলেছিলেন। ভবিষ্যতের মানুষের জন্য যত এনার্জি বা জ্বালানির প্রয়োজন হবে সেটিরো হয়তো সন্ধান মিলতে পারে মহাকাশে। সুতরাং সেটি খোঁজার জন্যে চীন প্রচেষ্টা চালাবে।
মহাকাশ জয়ের গল্পে অন্য দেশগুলোর তুলনায় চীন তুলনামূলক ভাবে নতুন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মিয়ানমারে বহু মানুষ ফেসবুকের পোস্টিংকে খবর হিসাবে দেখে। ভক্স নামে একটি মার্কিন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে মি. জাকারবার্গ বলেন, মিয়ানমারের ইস্যু নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে বিস্তর কথাবার্তা হয়েছে এবং অস্বীকার করার উপায় নেই যে ফেসবুক দিয়ে 'বাস্তব ক্ষতিসাধন' করা হয়েছে। "এক শনিবার আমি একটা ফোন কল পেলাম, তারপর দেখতে পেলাম ফেসবুক মেসেঞ্জার দিয়ে বার্তা চালাচালি হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যেই হচ্ছে...কিছু বার্তায় মুসলিমরা একে অন্যকে সাবধান করছে বৌদ্ধরা ক্ষেপে উঠেছে সুতরাং আত্মরক্ষার্থে সাথে অস্ত্র রাখো, অমুক জায়গায় যাও। অন্য পক্ষের লোকজনও একই কথাবার্তা চালাচালি করছে"। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি ধরতে পেরেছিলাম, বন্ধ করতে পেরেছিলাম। এখন এ ধরণের বিষয়ে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।" মি জাকারবার্গ যদিও দাবি করছেন যে তারা বিষয়টি ধরতে পেরেছিলেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, কিন্তু রাখাইনে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে ফেসবুককে ব্যবহার করা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা এখনো চলছে। আরও পড়ুন: মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? কেন বদলে দেওয়া হলো জেলার ইংরেজি বানান ফেসবুক নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন, ফেসবুক এখন মিয়ানমারে সংবাদের প্রধান সূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু সেদেশের বাজার নিয়ে ফেসবুকের কোনো মাথাব্যথা নেই। তার মন্তব্য ছিলো,"যার ফলে (মিয়ানমারে) ফেসবুকের অবস্থা দাঁড়িয়েছে একজন প্রবাসী বাড়ীর মালিকের মতো"। এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে মিয়ানমারের ৫ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট ছিল। কিন্তু মাত্র দু বছরের ব্যবধানে ২০১৬ সালে মিয়ানমারে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ। মোবাইল সংস্থাগুলোর এক জরিপে তারা দেখেছে, মিয়ানমারে ফেসবুকের পোস্টিংকে বহু মানুষ খবর হিসাবে বিবেচনা করে। গত মাসে মিয়ানমারের সহিংসতার ওপর জাতিসংঘের তদন্তকারী ইয়াংহি লি বলেন "ফেসবুক হিংস্র জানোয়ারের রূপ নিয়েছে"। তিনি বলেন, কট্টর বৌদ্ধ নেতাদের ফেসবুক পাতা রয়েছে এবং তার মাধ্যমে তারা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। মিয়ানমারে ধর্মীয় নেতারাও ফেসবুকে তৎপর গার্ডিয়ানের অনুসন্ধান ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলছে, মিয়ানমারে গতবছর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরুর ঠিক আগে ফেসবুকে 'হেট স্পিচ' বা ঘৃণামূলক বিবৃতি বেরুতে শুরু করেছিলো। শীর্ষস্থানীয় অনলাইন বিশ্লেষক রেমন্ড সেরাটোকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান লিখছে, গতবছর অগাস্টে যখন নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালাতে শুরু করে সেসময় ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী একটি গ্রুপের সদস্যদের পোস্টিং ২০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ফেসবুকের ঐ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৫৫,০০০। গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট অব ওয়ার এ্যান্ড পিস রিপোর্টিং- এর গবেষক অ্যালান ডেভিস দু বছর ধরে মিয়ানমারে কট্টর বৌদ্ধ নেতাদের বক্তব্য বিবৃতি বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, গত বছর অগাস্ট মাসের আগের বেশ কিছুদিনে তিনি দেখেছেন কীভাবে ফেসবুকে পোস্টগুলো "অনেক বেশি সংগঠিত, ঘৃণা-মিশ্রিত এবং সামরিক" হয়ে উঠছে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন মিয়ানমারে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়েছিলো।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় শুরু হবে খেলা। ভারতের টেস্ট দলে আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের দু নম্বরে থাকা ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলি। কোহলির অধীনেই ভারত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হয়েছে। আর বাংলাদেশ আছে টেস্টে ৯ নম্বরে। শক্তিমত্তার পার্থক্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৯টি টেস্ট খেলা হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে। প্রথম ম্যাচটিতে হেরেছে ৯ উইকেটে। এরপর একটি ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরেছে। ভারত ২০১৭ সালে বাংলাদেশকে এক টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছে ২০৮ রানে। ভারত মোট সাতটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে বৃষ্টির কারণে। ভারতের মাটিতে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে যেখানে কোনো ম্যাচেই ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এক সময়, ভারতে উইকেট তৈরি করা হতো স্পিন বোলারদের সুবিধা বিবেচনা করে। কিন্তু এখন ভারতের যে পেস বোলিং লাইন আপ তাতে আর এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হয় না। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই মোট ২৬টি উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ ইয়াদাভরা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেস বোলিং নির্ভর দল এর আগে কখনোই প্রতিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের কাছে এমনভাবে হেরে যায়নি। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল এখন ভারত কোহলির সেরা দল বলা হচ্ছে ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা একটি টেস্ট দলের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ভারতের কোচ রাভি শাস্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পরই বলেন, যে তারা এখন সমীকরণ থেকে পিচ বাদ দিয়েছেন। ''এটা জোহানেসবার্গ হোক অথবা মুম্বাই, দিল্লি, অকল্যান্ড অথবা মেলবোর্ন। আমরা একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বোলিং ইউনিট তৈরি করেছি যেখানে ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা আছে,'' তিনি বলেন। কেবল ভিরাট কোহলির অধীনে ভারতীয় পেস বোলাররা স্পিন বোলারদের সাথে তাল মিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন। পেস বোলাররা নিয়েছেন ৪২০ উইকেট আর স্পিন বোলাররা নিয়েছেন ৪৭২ উইকেট। রাভিন্দ্রা জাদেজা, রাভিচন্দ্রন আশ্বিন, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা প্রত্যেকের টেস্ট বোলিং গড় বেশ কম। বাংলাদেশের স্কোয়াডে পেস বোলার আছেন চার জন- মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি। যাদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে ঘরের মাটিতে খুব কমই বল হাতে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আল আমিন ৬টি, আবু জায়েদ ৫টি এবং এবাদত হোসেন ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টেস্ট বোলার এখন তাইজুল ইসলাম, যিনি ২৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১০৫টি উইকেট নিয়েছেন। ইন-ফর্ম ব্যাটিং এই টেস্টে ফর্মে থাকা এক ব্যাটিং লাইন-আপের মুখোমুখি হবে মুমিনুল হকের বাংলাদেশ। ভিরাট কোহলি তো আছেনই, সাথে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও রোহিত শর্মাও থাকবেন টপ অর্ডারে। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের টপ অর্ডার অতিক্রম করলে আসবেন চেতেশ্বর পুজারা ও আজিঙ্কা রাহানে। যারা টেস্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে চার ইনিংস করে ব্যাট করেছেন শর্মা, আগারওয়াল ও কোহলি। রোহিত শর্মা করেছেন ৫২৯, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৪০ ও ভিরাট কোহলি ৩১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ৫২৯ রান তুলেছেন রোহিত শর্মা অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, কিছুদিন আগে সাকিব আল হাসানের অধীনে বাংলাদেশের মাটিতে আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুল হকের গড় ৪০ এর কিছুটা বেশি, আর মুশফিকুর রহিমের ৩৫। সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুটি টেস্ট সেঞ্চুরি করলেও, প্রায় এক দশকের টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। টপ অর্ডারে সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে নামতে পারেন সাইফ হাসান যিনি এখনো বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি। ইমরুল কায়েসও আছেন স্কোয়াডে। সাদমান ইসলাম অনিক এক বছর হলো নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন, তিনি ইনিংসের শুরুতে উইকেটে থিতু হতে সক্ষম হলেও এখনো বড় রান করেননি। সাত ইনিংস ব্যাট করে কেবল মাত্র একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। সাদমান ইসলাম অনিক (ছবির বায়ে) ও সাইফ হাসান সাকিব-তামিম নিয়ে প্রশ্ন ইন্দোরে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিায়ক মুমিনুল হককে বেশিরভাগ সময়ই 'অধিনায়কত্ব' ও 'সাকিব-তামিম' নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। "অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরও ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলবো, আমি ইতিবাচক দিকটাই দেখবো। এর ফলে হয়তো আমার ক্রিকেট জ্ঞান বাড়বে। আমি সেভাবেই ভাবছি,'' তিনি বলেন। হঠাৎ করে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া মুমিনুল হক সাকিব আল-হাসানকে 'একাই দুইজন' আর তামিম ইকবালকে একজন বলে বর্ণনা করে বলেন, 'মোট তিনজন' ক্রিকেটারকে তারা পাচ্ছেন না। ''একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা এটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। এখন সবাই অনেক বেশি ফোকাসড, একটা বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলবে,'' তিনি বলেন। তবে দুই দলের শক্তিমত্তা, টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতায় বেশ ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনেও সেই পার্থক্য স্পষ্ট ছিল। টেস্টের একাদশ কেমন হতে পারে বা কী ধরণের বোলিং লাইন আপ সাজাবে বাংলাদেশ এনিয়ে অনেকটাই অপ্রস্তুত উত্তর দিয়েছেন মুমিনুল হক। তবে ভিরাট কোহলি মনে করেন, বাংলাদেশ এই ধরণের কন্ডিশনে অভ্যস্ত এবং তারা জানে কী করতে হবে। ''আমরাও অন্য যেকোনো ম্যাচ যেভাবে জয়ের জন্য খেলি সেভাবেই খেলবো। আমরা সম্মান করি প্রতিপক্ষকে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি নিজের দলের ওপর ভরসা রাখি,'' কোহলি বলেন। কোহলিই সেরা? ভিরাট কোহলি ভারতের তো বটেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক হওয়ার পথে আছেন। বিশ্বের অন্তত ২৭ জন অধিনায়ক যারা কমপক্ষে ৪০টি বা তার বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ভিরাট কোহলি তিন নম্বরে আছেন। এই সময়ে ৬১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে ভারত। জয়ের যে শতকরা হার সেদিক থেকে কোহলির ওপরে আছেন দুজন অস্ট্রেলিয়ান, স্টিভ ওয়াহ ও রিকি পন্টিং।
ভারতের ইন্দোরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম টেস্ট।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বিশ্বব্যপী সেক্স টয়ের বিক্রি বাড়ছে আর এই প্রক্রিয়ার মাঝ দিয়েই এটি পুরো বিশ্বে বিলিয়ন ডলারের বাজারের পরিণত হয়েছে। আপনি এই তথ্যে লজ্জা পেতে পারেন, আপনার একটু হাসিও পেতে পারে, কিন্তু এটি সত্যি যে সেক্স টয় একটি বিরাট বিশাল বাণিজ্য পণ্য। সুতরাং সততার সাথে জবাব দিন এবার: আপনার নিজের কি একটি সেক্স টয় বা যৌন খেলনা আছে? যদি থেকে থাকে তা কি আপনি বন্ধুদের কাছে স্বীকার করবেন? এই দুটি প্রশ্নের 'হ্যাঁ' জবাবটাই ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। একটা সময় গোপনে এটি ডাক যোগে অর্ডার করা হতো বা কেনা হতো- আর এগুলোর বিজ্ঞাপন ছাপানো হতো কোনো পর্ণ ম্যাগাজিনের পেছনের পাতায়। কিন্তু এখন এটি সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক ভালো করার মজার একটা উপায় হিসেবেই বিক্রি হয়ে থাকে। এখন এগুলো আর বিব্রতকর কোনো কিছু নয়, সেক্স টয় এখন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে দাড়িয়েছে, আর বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে বেড়েছে এর বিক্রি। সেক্স টয়'এর বিশাল বাণিজ্য আর বাজার সম্পর্কে কিছু অপ্রচলিত তথ্য জানার: আরো পড়তে পারেন: যে দুটি ইস্যুতে হোঁচট খেতে পারে সংলাপ সাত-সকালে সরকারের আমন্ত্রণ: সংলাপ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের সময় সংসদের কী হবে? ১. বিশ্বজুড়ে এর বিক্রির অঙ্কটা বিলিয়ন পাউন্ড সেক্স টয়ের ব্যবসা এখন আর গোপনীয় কিছু নয় ২০১৭ সালে দুনিয়া জুড়ে সেক্স টয় বিক্রি হয়েছে ১৮ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডেরও বেশি অঙ্কের অর্থের। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, এই সংখ্যাটি ইলেকট্রিক টুথব্রাশের ১০ গুণ এবং গত বছরে সারা বিশ্বে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সর্বমোট বিক্রির চেয়েও কিছু বেশি। ২. সেক্স টয়-এর দ্রুততম ক্রমবর্ধমান বাজার এখন ভারত আর চীন যৌনতার ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিষয় চেষ্টা করতে আগ্রহী হচ্ছে মানুষ ব্যাঙ্গালুরুর একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেকনাভিও'র বিশ্লেষক যশুয়ার মতে, "এটি সবচেয়ে দ্রুত বাজার করে নিচ্ছে ভারত এবং চীনে।" যদিও ভারতের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে সেক্স টয় জনসম্মুখে বিক্রি করা যাচ্ছে না বা এর দোকান দিতে পারছেন না, তবুও ই-কমার্স বা ইন্টারনেটের বিস্তার এগুলো কেনা এখানে সহজ করে দিয়েছে - এমনটাই মত মি. যশুয়ার। ৩. মার্কিনিদের চাইতেও বড় ক্রেতা ইউরোপিয়ানরা সেক্স টয়-এর ক্ষেত্রে ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে ইউরোপীয়রা মার্কিনিদের থেকে এগিয়ে এমন পরিসংখ্যান টেকনোভিও'র। মি. যশুয়া বলছেন, "কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে যে ইতালির অন্তত ৭০% নারী পুরুষ এই যৌন খেলনা ব্যবহার করছে।" ৪. এমনটি নয় যে কেবল নারীরাই এটি ব্যবহার করছেন শুধু নারীরাই যে খেলনা ব্যবহার করছেন, তা নয় বাজার বিশ্লেষক যশুয়ার মতে, কেবল নারীরাই এটি ব্যবহার করে থাকেন- বাস্তবতা তা নয়। তার মতে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৫০ভাগ পুরুষ কখনো কখনো সেক্স টয় বা যৌন খেলনা ব্যবহার করছে। যদিও মি. যশুয়া মানছেন যে, নারীদের বিবেচনায় আনলে তার পরিমাণ বেড়ে যায়, "অন্তত এটি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ নারীদের ক্ষেত্রে।" ৫. এই বাণিজ্য প্রসারে বড় ভূমিকা রেখেছে নারীর ক্ষমতায়ন নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সাথে বেড়েছে সেক্স টয়ের চাহিদা ১৯৭৬ এর সেক্স টয় কোম্পানি ডক জনসন-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রন, তার সন্তান এরিক ব্রাভারম্যান বলেন, "সেক্স টয় সম্পর্কে কল্পনা এবং ধারনার পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে।" এর বেচা-কেনা দুটোইতেই সবচেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। গেল শতকের ৯০'এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো 'সেক্স এন্ড দ্য সিটি'তে প্রচারিত চারজন মূল চরিত্র যখন নিজেদের মধ্যে 'ভাইব্রেটর' নিয়ে আলোচনা করছিল- মিজ এরিকের মতে, সেটি ছিল পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যে 'বিশাল মুহুর্ত।' এ নিয়ে তার ভাষ্য হলো, "নারীবাদ এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি নারীর ক্ষমতায়নের ফলেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শিল্পের বাজার এগিয়ে গেছে।" ৬. এর সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রয়েছে অনলাইনে বিক্রি অনলাইনে লেনদেন বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে সেক্স টয়ের বিক্রি ২০০৩ সালে ব্যবসা শুরুর পর ই-কমার্স ভিত্তিক সেক্স টয় এর খুচরা বিক্রির প্রতিষ্ঠান 'লাভহানি'র বিক্রি ছাড়িয়ে গেছে এক লাখ পাউন্ড- যা কিনা প্রতিবছরে ৩৫% হারে বেড়েছে। প্রতিষ্ঠার ১৬বছর পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার পরিধি বেড়েছে ১৩০গুণ। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড লংহার্স্ট বললেন, "সাধারণ একটি পণ্যের মতো করেই অনলাইনে এটি বিক্রি হয় সাধারন বাদামি খামে, বাদামি বাক্সে ভরে। ফলে কোনো অস্বস্তি থাকে না এটি নিয়ে, দোকানে গিয়ে দোকানির সাথে কথা বলতেও নয়।" ৭. সেক্স টয়-এর বাজারের বড় একটি অংশ দম্পতিদের দখলে রিচার্ড লংহার্স্টের মতে, ঐতিহাসিকভাবে মতে করা হয় যে ব্যক্তি প্রেম এবং যৌন জীবনে ব্যর্থ- তারাই হয়তো এটির ব্যবহার করে থাকেন। "কিন্তু আসল বিষয় হলো সেক্স টয় ব্যবহারকারী বেশিরভাগই হলো স্বামী-স্ত্রী বা যুগল। আর এর ব্যবহারে তাদের যৌন জীবন অনেকবেশি আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে যারা ব্যবহার করে না তাদের তুলনায়," বলছিলেন মি, লংহার্স্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতাদের আরেকজন নেইল স্লেটফোর্ড এটি সমর্থন করে বলেন, "এর বাজার অধিকাংশই যুগলদের দখলে। লাভহানির ৭০% ক্রেতাই এসব ব্যবহার করেন তাদের সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করতে।" ৮. ৭০ শতাংশ সেক্স টয় উৎপাদন করে চীন পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে আপনি কিনতে পারবেন সেক্স টয় আপনি বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই সেক্স টয় কিনুন না কেন, এটির উৎপাদনের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব এশিয়ায় কোনো অঞ্চলের। উইলিয়াম নামে পরিচিত চীনের একটি কোম্পানির মালিক বলছিলেন যে, ২০বছর আগে যখন তিনি এর উৎপাদন শুরু করেন সে সময় থেকে অন্তত ২০গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে তার ব্যবসার পরিসর। ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে এর রপ্তানি শুরু করাতেই এই বৃদ্ধি বলে মনে করেন তিনি। ৯. এর বিক্রি বেড়েই চলেছে বিশ্ব বাজারে এর প্রবৃদ্ধি ধরা হচ্ছে বছরে শতকরা ৭ থেকে ১০ ভাগ। কিন্তু টেকনাভিওর মি. যশুয়ার মতে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যদি উন্নয়নশীল দেশের মানুষ সেক্স টয় সম্পর্কিত তাদের জড়তা এবং বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে তবে প্রবৃদ্ধি হার ১০ থেকে ১৫শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। তার মতে, এগুলো বেশিরভাগই চীনে তৈরি এবং দামেও সস্তা। আর ইন্ডাস্ট্রির সৌভাগ্য এজন্যেও আসতে পারে।
একটা সময়ে সেক্স টয় বা যৌন খেলনা ছিল একধরনের অপ্রচলিত ডাক যোগে অর্ডার করা পণ্যের তালিকায়- আর সাম্প্রতিক সময়ে এটি বাজারজাত হয় স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্ক উন্নয়নের মজার এক মাধ্যম হিসেবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এই সফরকারী দলের একজন সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতেই তাদের এই সফর। "এই সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও টেনে নিয়ে যাওয়। পাশাপাশি ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল যেগুলো আছে তাদের সাথে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা।" আরো পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুর্ভাবনায় ভারত? তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির সাথেও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ছিল, ক্ষমতায় আসারা পর (বিজেপি) সে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।" এই সফর সরকারি কোনও প্রতিনিধি দলের নয়, তারা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হিসেবে । বিজেপির সদস্যদের সাথে তারা বৈঠক করবে। সেখানে কী আলোচনা হতে পারে? "সুনির্দিষ্ট সেভাবে কোন এজেন্ডা তো ঠিক করি নাই। দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অনেককিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে কি-না, সেক্ষেত্রে কী করণীয় এসব। অথবা যেসমস্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেগুলো নিয়ে মূলত আলাপ হবে," জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। এই সফরে বিজেপির বাইরে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান। কিছুদিন আগে চীন সফরের পর এবার ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের এই সফর। এসব সফর হচ্ছে এমন সময় যখন বাংলাদেশে ২০১৮ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এ ধরনের সফরের সাথে নির্বাচনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি? জানতে চাইলে বিবিসি বাংলাকে মি: হানিফ বলেন, "নির্বাচনের সাথে ভারত বা চীন সফরের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ কখনো বহি:শক্তির ওপর নির্ভর করেনি।" তিনি জানান, প্রায় প্রতিবছরই দলের পক্ষ থেকে চীনে সফর করা হচ্ছে রাজনৈতিক দল বা সরকারের আমন্ত্রণে। ভারতে জনতা পার্টির আমন্ত্রণে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, "অনেক আগেই তারা দাওয়াত দিয়েছিল কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে বিলম্ব হয়েছে। এখন আমরা মনে করছি সঠিক সময়। এর সাথে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।" বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদেরও আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: চাকরিপ্রার্থীদের ‘ফার্স্ট টার্গেট বিসিএস’ কেন? মোবাইল ফোনে ফ্রি অ্যাপ থেকে আয় হাজার হাজার ডলার শিশু-ধর্ষণের কারণ কি শুধুই বিকৃতকাম না কুসংস্কার?
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে সেখানে সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল । তারা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিছুদিন আগে চীনেও সফর করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ।এখন ভারতে এই সফরের উদ্দেশ্য কী?
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অনলাইনের মাধ্যমে কৃষকদের ঋণ সুবিধা পাওয়ার এক উদ্যোগ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দেশের কৃষকরা বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন লোন নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের এটুআই প্রোগ্রাম- এর প্রযুক্তিগত সুবিধা দেবে। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধানদের নিয়ে আজ বৈঠক হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। বাংলাদেশে কৃষকদের লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির শিকারের অভিযোগ ওঠে। সেখানে এই ব্যবস্থা তাদের সেই ভোগান্তি কতটা কমাবে? এই প্রকল্পের সাথে কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন যুগ্ম পরিচালক শহীদ রেজা বলছিলেন,এর মূল উদ্দেশ্য কৃষকের হয়রানি কমানো। তিনি বলছিলেন, "দেখা যায় কৃষি ঋণ পেতে একজন কৃষককে একটা ব্যাংকের শাখায় কোন কোন সময় পাঁচ-ছয় বার যেতে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন ব্যবস্থায় কৃষক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় একবারেই যেতে হবে। তিনি ঘরে বসেই সব তথ্য দিতে পারবেন, নিজের প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।" কার্যক্রমটি শুরু হবে মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক এবং ওয়েবপেজ ভিত্তিক। ইতিমধ্যে কৃষি লোন নামে একটা মোবাইল অ্যাপলিকেশন তৈরি করা হয়েছে। যেটা গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশে কৃষকদের লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির শিকারের অভিযোগ ওঠে। তিনি বলেন, "যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করছেন না তাদের জন্য ওয়েবপেজ রয়েছে অনলাইনকৃষি.কম.বিডি নামে। এখানে গিয়ে যে কেউ তার প্রোফাইল যোগ করে কৃষি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।" প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম জোনের ব্যাংকগুলোতে পাইলটিং এর ম্যাধ্যমে শুরু করা হবে। তারপর এর সফলতার ভিত্তিতে সারা দেশে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কৃষি লোন পেতে কৃষকেরা যে হয়রানির শিকার হন সেটা স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে করে কৃষকরা সহজেই কৃষি ঋণ পেয়ে যান। তবে প্রযুক্তিগত কিছু জটিলতা মোকাবেলা করতে হবে এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মি. রেজা বলছিলেন "যেসব কৃষক অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করছেন না তাদের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার যেটা আছে সেখান থেকে তারা সহায়তা নিতে পারবেন।" আরো পড়ুন: এ বছর ইউরোপ যেতে সমস্যায় বাংলাদেশের আম 'কৃষিকাজে নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে' বাংলাদেশে কেন এত বেশি বজ্রপাত হয়? কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার কি ফসল উৎপাদন বাড়াবে? পৃথিবী যে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে, তার একটি প্রমান হয়তো বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন আবিষ্কার।
অনলাইনের মাধ্যমে কৃষকদের ঋণ সুবিধা পাওয়ার এক উদ্যোগ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
একটি কারখানায় কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। (ফাইল ফটো) মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের ফ্যাক্টরির অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী জানিয়েছেন, এটা তাদের একটা ভুল হয়েছিল। "এখন কোন বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই" বলে তিনি জানান। তিনি বলেন "বেতন কাটার বিষয়টা তাদের কোম্পানির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে নোটিশে ভুলক্রমে উল্লেখ করা হয়েছিল। এখন আগের নোটিশ বাতিল করা হয়েছে"। কারখানাটির সংশোধিত অফিস নোটিস ঢাকার কাছে গাজীপুরে অবস্থিত মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের এই ফ্যাক্টরিতে এই মাসের ৯ তারিখে জারি করা একটি নোটিশে লেখা ছিল, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে।তাতে আরও লেখা ছিল, "যদি কোন স্টাফ মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন তবে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বেতন হতে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কর্তন করা হইবে।" গতকাল ১৭ তারিখে জারি করা এই নোটিশে বলা হয়েছে "নামাজের উৎসাহ প্রদানের জন্য করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বেতন কর্তনের কোন উদ্দেশ্য ছিল না। ভুলবশত বেতন কর্তনের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় আমরা আন্তরিক ভাবে দু:খিত"। আরো বলা হয়েছে "এই নোটিশটি জারি পূর্বক পূর্ববতী নোটিশটি বাতিল বলিয়া গণ্য হইল"। আরো পড়ুন: বেশিরভাগ কোভিড-১৯ আক্রান্তেরই ঝুঁকি কম রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোর পরিকল্পনা থেকে কি সরকার সরে এলো? চীনে 'দাড়ি ও বোরকার জন্য বন্দী করা হয়' উইগারদের
বাংলাদেশে একটি পোশাক কারখানায় সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে যোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করার নোটিশ জারির পর তা বাতিল করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
হোটেলের রেস্টুরেন্টে সন্দেহভাজন হামলাকারী। আটটি জায়গায় প্রায় একই সময়ে চালানো এসব হামলায় আড়াইশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো পাঁচশো জনের মতো। রবিবারের হামলার পর গত এক সপ্তাহে সিসিটিভির কয়েকটিও ভিডিও ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে। গির্জাতে হামলার ভিডিও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী তার পিঠে একটি বড় রুকস্যাক নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে কিভাবে নিগোম্বো শহরের একটা গির্জার ভেতরে গিয়ে ঢুকেছে। জনাকীর্ণ সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জায় তখন ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। হেঁটে আসার সময় তাকে গির্জার বাইরে এক জায়গা কিছুক্ষণ থেমে একটি শিশুকে হাত দিয়ে আদর করতেও দেখা যায়। তারপর গির্জার বারান্দা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে গির্জার ভেতরে ঢুকে মোটামুটি সামনের একটি আসনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই গির্জায় নিহত হয় একশোরও বেশি মানুষ। হোটেলের ভিডিও ফুটেজ এখন আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরো একজন হামলাকারী রাজধানী কলম্বোর একটি হোটেলে কিভাবে হামলা চালিয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যে হোটেলের যেখানে লোকজন সকালের নাস্তা খাচ্ছে সেরকম একটি জায়গায় একটি টেবিলের আশেপাশে সে ঘোরাঘুরি করছে। তার পিঠেও ছিল একটি রুকস্যাক জাতীয় ব্যাগ। হোটেলের ম্যানেজারও ওই তরুণের বিষয়ে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন। সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের ম্যানেজার রোহান কর বিবিসিকে বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই বোমারু তাদের হোটেলে চেক-ইন করেছিলো হামলার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায়। সে যখন হোটেল আসে - তখন তাকে এক গ্লাস পানীয় দিয়েও স্বাগত জানানো হয়েছিল বলে তিনি জানান। সেটা পান করে সে তার রুমে চলে গিয়েছিল। একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী তার পিঠে একটি বড় রুকসাক নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে নিগোম্বো শহরের একটা গির্জার ভেতরে গিয়ে ঢুকছে। আরো পড়তে পারেন: শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের সন্তানরা কেন জঙ্গিবাদের দিকে? অধিকাংশ হামলাকারী 'উচ্চ-শিক্ষিত, ধনী ঘরের সন্তান' হামলার অভিযুক্ত মূল হোতাকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল মুসলিমদের "হামলার দিন সকালে সে নিচে নেমে আসে। তার পিঠে একটা ব্যাগ ছিল।" নাস্তা খেতে খেতে হামলার অপেক্ষা হোটেলের ম্যানেজার বলেন, "তারপর সে হোটেলের রেস্টুরেন্টে চলে যায় যেখানে লোকজন সকালের নাস্তা করছিল। যাতে একেবারে মাঝখানের একটি টেবিলে বসতে পারে সেটাও সে নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিল।" রোহান কর আরো জানান যে সেসময় সে তার পিঠে রুকসাক নিয়ে ঘুরঘুর করছিল। তার আশেপাশের প্রায় সবকটি টেবিলেই লোকজনকে তখন সকালের নাস্তা করতে দেখা যায়। "আমরা কখনও ভাবিনি এই সেই লোক যে আমাদেরকে মারতে এসেছে।" "সে টেবিলে বসলো, খাওয়াদাওয়া করলো। লোকজন বুফেতে আসার জন্যে সে অপেক্ষা করছিল। যখন সে দেখলো রেস্তোরাঁটি লোকজনে ভরে গেছে তখনই সে বিস্ফোরণ ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে সে যতবেশি সম্ভব লোকজনকে হতাহত করতে পারে," বলেন ম্যানেজার রোহান কর। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার সরকার এজন্যে স্থানীয় স্বল্প পরিচিত একটি গ্রুপ ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত বা এনটিজে-কে দায়ী করে বলেছে, এদের সাথে আইএসও জড়িত থাকতে পারে। আরো পড়তে পারেন: লাশের পেটে পাওয়া গেল ১১ প্যাকেট ইয়াবা ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম এমপি-রা কোথায়?
শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে আত্মঘাতী হামলাকারীরা কিভাবে বেশ কয়েকটি হোটেল ও গির্জাতে হামলা চালিয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আয়মান আল-জাওয়াহিরি 'কাশ্মীরকে ভুলো না' শিরোনামে ওই বার্তায় তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে মুজাহিদিন বা জিহাদিদের এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারতীয় সেনার ক্ষতি সাধন করা। কাশ্মীরি জিহাদিদের পাকিস্তানের ওপর ভরসা রাখা উচিত নয় বলেও তিনি সেখানে মন্তব্য করেন। ভারত সরকারিভাবে এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া না-জানালেও দিল্লিতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীরে আল কায়দার পায়ের তলায় জমি শক্তি করার উদ্দেশ্যেই এই বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। আয়মান আল-জাওয়াহিরির শেষ ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ্যে এসেছিল ঠিক তিন বছর আগে, যখন তিনি মুসলিম বন্দীদের মৃত্যুদন্ড দিলে আমেরিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বস্টন ম্যারাথনে বোমা হামলায় দন্ডপ্রাপ্ত জোখার সারনায়েভের নামও তিনি তখন আলাদাভাবে উল্লেখ করেছিলেন। কাশ্মীরের রাস্তায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল এদিন তার যে ভিডিও বার্তাটি সামনে এসেছে, সেটিতে তিনি অবশ্য শুধু কাশ্মীরের জিহাদ নিয়েই কথা বলেছেন। মুজাহিদদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন, "ভারতীয় সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধে অবিশ্রান্ত আঘাত হানাই এখন তাদের একমাত্র ফোকাস হওয়া উচিত" - যার ধাক্কা ভারতীয় অর্থনীতির ওপর পড়ে, ভারতীয় সেনা যাতে ক্রমাগত লোকবল ও যুদ্ধাস্ত্র খোয়াতে থাকে। ভারতের সুপরিচিত নিরাপত্তা বিশ্লেষক প্রভিন স্বামী বিবিসিকে বলছিলেন, "গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবা বা হিজবুল মুজাহিদিনের মতো গোষ্ঠীগুলো থেকে অনেক জঙ্গীই গিয়ে আল কায়দা শিবিরে ভিড়েছেন।" "এর প্রধান কারণ, তাদের অভিজ্ঞতা বলে পাকিস্তানের ওপর ভারতের চাপ বাড়লেই তাদের ওপর থেকে ইসলামাবাদের সমর্থন সরে যায়।" "আল-জাওয়াহিরিও এখন বলছেন কাশ্মীরের লড়াইয়ে পাকিস্তান মোটেও কোনও নির্ভরযোগ্য সাথী নয়, তারা স্রেফ আমেরিকার দালাল। কাজেই তিনি চাইছেন, কাশ্মীরের সব জঙ্গীই যেন আল কায়দার পতাকার তলায় এসে জিহাদে সামিল হয়।" ভারতের জন্য আল কায়দা যে সেল প্রতিষ্ঠা করেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে 'আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ'। নিহত জঙ্গী নেতা জাকির মুসার জানাজায় কাশ্মীরে মানুষের ঢল ভারতে এই আল কায়দার শাখার যিনি প্রধান ছিলেন, সেই জাকির মুসা গত মে মাসেই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। এরপর গত মাসে ঈদের সময় সংগঠনের নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হামিদ লেলহারিকে। বছর তিরিশের হামিদ লেলহারি ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামার ছেলে, আর তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাজী ইব্রাহিম খালিদ। প্রভিন স্বামী জানাচ্ছেন, "হামিদ লেলহারি, যার আসল নাম হামিদ বাট, তিনি নতুন নেতা হলেও জাকির মুসার মতো ক্যারিশমা তার নেই, কাশ্মীরি তরুণদের তিনি সেভাবে আকৃষ্ট করতে পারছেন না।" "কাজেই আমার মনে হচ্ছে, আল কায়দার প্রধান নিজে এখন তাদের প্রতি বার্তা দিয়ে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছেন।" "গত বিশ বছর ধরে কাশ্মীরে জিহাদ চালানো হলেও তেমন একটা পরিবর্তন আনা যায়নি, ফলে কিছুটা হতাশাও আছে - কিন্তু আল জাওয়াহারি এখন বলছেন ভারতকে নতুন যন্ত্রণা দিতে হবে, কাশ্মীরের বাইরেও তাদের বিভিন্ন শহরে, সরকারি স্থাপনায় উপর্যুপরি আঘাত হানতে হবে।" শ্রীনগরে তার প্রথম সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনী আল-জাওয়ারির নতুন ভিডিওটি খুঁটিয়ে দেখছে ঠিকই - তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কর্মকর্তারা এ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে: জেনারেল জি পি বক্সী অবশ্য মনে করছেন, আল কায়দা প্রধানের আবেদন কাশ্মীরে তেমন একটা সাড়া ফেলতে পারবে না। তার কথায়, "কাশ্মীরি যুবকরা কিন্তু মনস্থির করে ফেলেছেন তারা ভারতের মূল স্রোতেই থাকবেন। জিহাদ বা জঙ্গীবাদের রাস্তায় যেতে তারা আর উৎসাহী নন।" "আর এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, বারামুলায় সম্প্রতি আর্মির রিক্রুটমেন্ট ক্যাম্পে যোগ দিতে হাজারে হাজারে কাশ্মীরি তরুণ লাইন দিয়েছিলেন। এরা সবাই ভারতের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকাকেই আপন করে নিয়েছেন।" নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রও বলছে, গত চার-মাসে কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার ঘটনা অনেক কমে গেছে, অন্যদিকে অসংখ্য জঙ্গী এনকাউন্টারে মারা গেছেন। এই পটভূমিতে আল-জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তা সেই জিহাদিদের মনোবল বাড়ানোর একটি মরিয়া চেষ্টা বলেই তারা মনে করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে রুবেল হোসেনকে নেওয়ার জন্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ব্রাড হগ। আজ নটিংহামের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রতি এমন আহ্বান জানালেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ব্র্যাড হগ। নিজের ভেরিফাইড টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ম্যাচের আগে দু'দলের জন্যই কিছু পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। হগ বলেন, "সবাই দারুণভাবে শেষ করতে চায়, সবাই দুর্দান্তভাবে শেষ করতে চায়। কিন্তু আপনি শুধু বাংলাদেশ দলকে পেছনে টেনে ধরছেন যেটা কোন অ্যাথলেটিসিজম না।" "তাই দলে তরুণদের নিন, প্লিজ," বলেন এই সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। দলে পেস আক্রমণে রুবেল হোসেনকে নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোলিং-এ সাকিব আল হাসান অথবা মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে শুরু করতে বলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জুটিকে এলবিডব্লিউ বা বোল্ড করার পরিকল্পনা করা যেতে পারে বলে তার ধারণা। তিনি বলছেন, "তারা [অস্ট্রেলিয়া] শুরুতে পেস বল যেমন খেলে, স্পিন খেলতে পুরোপুরি কনফিডেন্ট না।" তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং দেখে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের শর্ট বল এড়িয়ে যেতে বলছেন তিনি। মিচেল স্টার্ককে তিনি বেশি করে ইয়র্কার ডেলিভারি দেওয়ার আহ্বান জানান। "আর যদি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বেশি আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাট করে, নিজের মত বল করো," স্টার্কের উদ্দেশ্যে হগ। আরো পড়ুন: মাশরাফী কি বিশ্বকাপে নিজের খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ভাবনা কী? ব্র্যাড হগের আর্ন্তজিাতিক ক্যারিয়ার ব্র্যাড হগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ২০০৮ সালে ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচ থেকে তিনি অবসর নেন। আর ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেন তিনি। বোলিং-এ ওয়ানডেতে ১২৩ ম্যাচে ১৫৬টি উইকেট, ৭টি টেস্টে ১৩ ইনিংসে ১৭ উইকেট এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭টি উইকেট লাভ করেন। বোলিং: ব্যাটিং: অন্যদিকে ওয়ানডেতে ব্যাটিং-এ ২০.২৫ গড়ে মোট ৭৯০ রান সংগ্রহ করেন। আর ৭ টেস্টে ১০ ইনিংসে মোট ১৮৬ রান করেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১৫ ম্যাচে ৪টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৫৫ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এক নজরে মাশরাফীর আর্ন্তজিাতিক ক্যারিয়ার বোলিং: ব্যাটিং:
"সবারই লক্ষ্য থাকে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করে শেষ করতে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপনার শরীর আর নিতে পারছে না।"
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং আফগান প্রেসিডেন্ট দিল্লিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দিনভর বৈঠকের পর সন্ধ্যায় শহরের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশে সহিংসার চরিত্র আলাদা আর আন্তর্জাতিক বিশ্বকে সেটা বুঝেই তার মোকাবিলার পথ খুঁজতে হবে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শান্তি আলোচনার উদ্যোগ বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তার সরকার যে সেটা মেনে নেবে না, প্রেসিডেন্ট গনি এদিন সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট গনি স্পষ্ট করেই বলেছেন - পাকিস্তান একদিকে তার দেশে তালেবানকে মদত দিয়ে যাবে আর অন্য দিকে তাদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে বলবে, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। বলা বাহুল্য পাকিস্তান নিয়ে আফগান সরকারের এই অবস্থানে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানের চিফ এক্সিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাউদ্দিন রাব্বানি ভারত সফর করে গেছেন। এ মাসের ১৬ তারিখে কাবুল গিয়েছিলেন ভারতের ক্ষমতাধর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আফগান চিফ এক্সিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লা গত মাসেই দিল্লি সফরে এসে সরাসরি বলেছিলেন, "আমাদের দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই সমস্যাসঙ্কুল - আর তার প্রধান কারণ হল যে সব গোষ্ঠী আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বিপন্ন করতে চায় তাদের ঘাঁটি এখনও পাকিস্তানেই। সে দেশ থেকে তারা এখনও সমর্থন পাচ্ছে।" এতটা খোলাখুলি না-বললেও প্রেসিডেন্ট গনিও এদিন দিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করেই বলেছেন, তার দেশে চলা সহিংসতায় রাজনৈতিকভাবে অর্থায়ন করা হচ্ছে, মদত দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট কোনও শান্তি আলোচনায় যে আফগানিস্তানের ভরসা নেই, তার এই মন্তব্যকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে ভারত। যে থিঙ্কট্যাঙ্কে প্রেসিডেন্ট গনি এদিন ভাষণ দিয়েছেন, তার সিনিয়র ফেলো সুশান্ত সারিন বিবিসিকে বলছিলেন ভারতের এখনকার আফগান নীতির প্রতি প্রেসিডেন্ট গনির যে সমর্থণ রয়েছে তার পরিষ্কার ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন। মি সারিনের কথায়, "আফগানিস্তানে ভারতের সাফল্যের মূল কারণ হল অন্য দাতা দেশগুলোর মতো ভারত কখনও ঠিক করতে যায়নি আফগানরা কী চায়, বরং তারা জানতে চেয়েছে আফগানিস্তান কী চায়।" দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং আফগান প্রেসিডেন্ট "হ্যাঁ, আমেরিকার সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা নিশ্চয়ই চলবে - কিন্তু ভারতকে এখানে একটা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে।" গত সপ্তাহেই ওমানের মাস্কটে আফগান শান্তি আলোচনাকে জিইয়ে তোলার চেষ্টায় কাবুলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল আমেরিকা, চীন ও পাকিস্তান। তা ছাড়া রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান - এই তিন দেশের উদ্যোগেও কাবুল ও তালেবানকে মুখোমুখি বসানোর চেষ্টা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থান একটু আলাদা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এ বছরের গোড়াতেই স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, "ভারত মনে করে আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠক করলেই সে দেশের সমস্যার সমাধান হবে, বিষয়টা মোটেও তা নয়। সবচেয়ে জরুরি হল, যে কোনও শান্তি আলোচনা হতে হবে আফগানিস্তানের নেতৃত্বে ও তাদের নিয়ন্ত্রণে। নইলে কিছুতেই তাদের সঙ্কট মিটবে না।" অন্যভাবে বললে, শান্তি আলোচনায় ভারত যে পাকিস্তানের কোনও ভূমিকা দেখতে চায় না সে মনোভাব দিল্লি অনেক আগেই স্পষ্ট করেছে। ঘটনাচক্রে প্রেসিডেন্ট গনি কাবুলের ফিরতি বিমান ধরার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে এসে নামছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তার কাছেও ভারত আফগান প্রশ্নে তাদের এই অবস্থান তুলে ধরতে চাইবে।
তালেবানের সাথে শান্তি মীমাংসার জন্য আশেরিকার এবং রাশিয়ার তরফ থেকে সমান্তরাল উদ্যোগের মাঝে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ভারত সফরে গেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পিক্সেল ফোর হ্যান্ডসেট গুগলের হার্ডওয়ার বিকাশের একটি বড় অংশ। গেজেটের শিষ্টাচার এমন এক বিষয় যার সঙ্গে আমরা সবাই জড়িয়ে পড়েছি। এজন্য আমাদের সবার জেনে নেয়া দরকার যে, প্রযুক্তির সাথে আমাদের যোগাযোগ কেমন হওয়া উচিত। গুগলের হার্ডওয়ার প্রধান রিক ওস্টের্লোহ' অনেক কর্মময় একটা সপ্তাহ কাটিয়েছেন। তবে সেই ব্যস্ততা ইন্টারনেট অনুসন্ধান এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন নিয়ে ছিল না। বরং ছিল গুগলের হার্ডওয়্যার নিয়ে। বেশ ক'দিন ধরেই হার্ডওয়্যারের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। গুগল হোম স্মার্ট স্পিকার থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট এবং ইল ফেটেড গুগল গ্লাস সমস্ত কিছু সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে। তবে পিক্সেল স্মার্টফোনই সম্ভবত তাদের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য। এখন অবধি, এটা নিয়ে মানুষের পর্যালোচনা বেশ ইতিবাচক। তবে বিক্রির হার অনেক কম। তাই এই সপ্তাহে পিক্সেল ফোর চালু করা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রচুর খাটনি করতে হয়েছে। আপনি কি আপনার ডিভাইসের কারণে বিভ্রান্ত? বিবিসির প্রযুক্তি ডেস্ক সম্পাদক লিও কেলিওন যখন রিক ওস্টের্লোহর সাক্ষাৎকার নেন তখন, মিস্টার ওস্টের্লোহ "অ্যাম্বিয়েন্ট কম্পিউটিং" নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ দেখান। সেখানে মূলত তিনি আলোচনা করেন যে, আমাদের চারপাশে যে গেজেটগুলো রয়েছে তার মধ্যে অনেক গেজেট হারিয়ে যায় কারণ, সেগুলো আমাদের সেভাবে প্রয়োজনে আসে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে পিক্সেল ফোরের নতুন রেডার বৈশিষ্ট্যটির কথা। ওস্টের্লোহের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই ফিচারটি, ফোন স্পর্শ করা ছাড়াই ফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমোদন দেয়। "আপনি যদি গান শোনেন, তাহলে আপনার ডিভাইসটি স্পর্শ না করে সহজেই আপনি গান বদলাতে পারবেন। যদি আপনার অ্যালার্মটি সকালে বাজতে থাকে, আপনি সেটা দেখার সাথে সাথে, অ্যালার্মের শব্দটি কমে যাবে এবং তারপরে আপনি অ্যালার্মটি বন্ধ করতে সোয়াইপ করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি আপনার ফোন থেকে কী চান সেটা এই ডিভাইসটি কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারে।" নতুন গুগল নেস্ট স্মার্ট স্পিকার চালু হওয়ার মাধ্যমে আমরা এমন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি যেখানে, গুগল আমাদের শুনতে পাবে এবং বিভিন্ন উপায়ে আমাদের অনুভব করতে পারছে। তারপরে লিও এমন একটি প্রশ্ন নিয়ে আসেন যা মিস্টার ওস্টার্লোহকে বোকা বানিয়ে দেয় - আপনার বাড়িতে অতিথিরা প্রবেশের আগেই কি তাদের বলা উচিত যে আপনার বাসায় এ ধরণের একটি অ্যাম্বিয়েন্ট ডিভাইস রয়েছে? "এটি একটি দুর্দান্ত প্রশ্ন," তিনি বলেন। "আমি এটা এভাবে ভেবে দেখিনি।" তবে কিছুক্ষণ চিন্তার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, হ্যাঁ, এটি গেজেট ব্যবহারের একটি ভাল শিষ্টাচার হতে পারে। "কোনও বাড়ির মালিককে কি অতিথির কাছে এই বিষয়গুলো প্রকাশ করা দরকার? আমি বলতে চাইছি, যে কেউ আমার বাড়িতে প্রবেশ করলে আমি তা করতাম এবং আমি মনে করি যে পণ্যগুলোরই এই ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করা উচিত।" তিনি বলেন যে নেস্ট ক্যামেরা ইতিমধ্যে তাদের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। বিভ্রান্তি কেবল ডিজিটাল যুগের জন্য সমস্যা নয় - প্লেটোও এটি সম্পর্কে লিখেছিলেন প্লেটোর বাণী তবে গেজেটগুলো লুকানো থাকা আমাদের বেশিরভাগের জন্য প্রধান সমস্যা নয় -বরং ‌এসব গেজেট প্রতিনিয়ত আমাদের মুখের সামনে থাকে, কারণ আমরা প্রায় প্রত্যেকে এই যন্ত্রগুলোর প্রতি আসক্ত - সমস্যাটা এখানে। নির এয়াল তার পুরো কর্মজীবনে মানুষকে এই গেজেটের সঙ্গে জুড়ে রাখার কাজ করে গেছেন। তিনি মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব গেজেট এবং তারা যে পরিষেবাগুলো দিচ্ছে সেগুলোয় জুড়ে থাকতে সহায়তা করতেন। এসব নিয়ে তিনি "হুকড" নামে একটি বই লেখেন, যেখানে তিনি সেই কৌশলগুলোর কথা বলেছেন যার কারণে, পণ্যগুলি মানুষদের আঠার মতো আটকে রাখতে পারে। এখন তিনি উল্টো কাজটি করছেন। প্রযুক্তির দ্বারা মানুষ যে ক্রমাগত বিভ্রান্ত হচ্ছে সেটা কিভাবে এড়ানো যায় এ নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। প্রতিদিনের ব্যবহৃত এই গেজেটগুলো কতোটা সচেতনভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে তিনি এই বইতে অসংখ্য টিপস দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই স্ক্রিন বা পর্দার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে: এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন মি. এয়াল। তিনি বলেন, "আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই আসক্ত নন, আমরা আসলে বিক্ষিপ্ত, যার অর্থ আমরা চেষ্টা করলে এ থেকে বেরিয়ে আসতে কিছু করতে পারি।" তিনি আরও বলেন যে আজকাল বাবা মায়েরা পর্দায় সময় কাটাতে খুব বেশি মনোযোগী অথচ এটাই তাদের সন্তানদের সুস্থতার পথে সর্বশেষ বিপদ হতে পারেন: "ওই পর্দায় আপনি আগের প্রজন্মের রক অ্যান্ড রোল বা র‌্যাপ সংগীত শোনেন বা কমিক বই দেখেন, আমরা দোষ দেয়ার জন্য কিছু চাই।" আমরা কি আমাদের ফোনে বেশি সময় ব্যয় করছি? আরও পড়তে পারেন: আপনার স্মার্টফোন আপনার সম্পর্কে যা বলে দেশে স্মার্টফোন ঝুঁকিতে - নিরাপদ থাকার উপায় কেন যৌন বিকৃতির কারণ হয়ে উঠছে স্মার্টফোন তিনি বলেন যে আমরা চাইলে নানা উপায়ে এই গেজেটের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হওয়া এড়াতে পারি। যেমন: ডিনার টেবিলে ফোনের ব্যবহার নিয়ে কিছু নিয়ম জারি করা, আপনার সামাজিক মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ডিভাইসের হোম স্ক্রিন থেকে দূরে রাখা। তবে তাঁর পরামর্শের মূল অংশটি হলো, আপনি আপনার স্মার্টফোন থেকে পিং এবং পপ-আপগুলি উপেক্ষা করতে পারবেন না, তাই বিভ্রান্ত হওয়া এড়াতে এবং এসব গেজেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়তে নিজের মধ্যে নজর দেওয়া উচিত। "আমরা যদি কোন অনুভূতি, অনুভব করতে না চাই, তখন সেটা এড়ানোর জন্য নিজেদের বিভ্রান্ত করতে আমরা এই ডিভাইসগুলোকে ব্যবহার করি। যেমন- বিরক্তি, একাকীত্ব, মানসিক চাপ, ক্লান্তি, অনিশ্চয়তা" গেজেটের বিকাশে গত দশকে এই বিশাল পরিবর্তন দেখা গেছে। স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে নির এয়াল উল্লেখ করেন যে, প্লেটো ২৫০০ বছর আগে এই বিভ্রান্তির কথা বলছিলেন। প্রযুক্তি আমূল পরিবর্তনের ফলে মানুষকেও অনেক ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
আপনার বাড়িতে আসা অতিথিদের কি এটা জানানো উচিত যে আপনার ঘরে থাকা স্মার্ট স্পিকারটি তাদের কথা ধরে রাখতে পারে? এবং যখন আপনার ফোনে টুইটার বা ফেসবুকের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রসঙ্গ আসে তখন কতক্ষণ সেখানে থাকা উচিত? কতো সময়কে বেশি সময় ধরা হয়?
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকার বিমানবন্দরে সম্প্রতি প্রবাসফেরত এক ব্যক্তিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া নিয়ে দুই স্ত্রীর বাদানুবাদ, ধাক্কাধাক্কি ও টানা-হেঁচড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, এবং দেশের ফেরার পর তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে এসেছেন দুই স্ত্রীই। খবরের কাগজে মাঝেমধ্যেই এ ধরণের খবর ছাপা হতে দেখা যায়। খবরে তথ্য-পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করে বহু বিবাহের ঘটনা নিয়ে অনেক হাস্যরসও হয়, যেমন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে 'বিয়ে পাগল' উপাধি দিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ বলছে প্রতারণা করে বিয়ের ঘটনা কমবেশি সব ধর্মের ক্ষেত্রেই ঘটে তথ্য গোপন করে ২৮৬ বিয়ে! ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষদিকে ঢাকার তেজগাঁও থানার পুলিশ জাকির হোসেন ব্যাপারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন, যিনি তথ্য-পরিচয় গোপন করে, প্রতারণা করে ২৮৬টি বিয়ে করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক বিয়ে করার জন্য তিনি ১৪ বছর সময় নিয়েছেন। ওই মামলার তদারককারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর অপারেশনস হাসনাত খন্দকার বিবিসিকে জানিয়েছেন, তদন্ত করে মামলার চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ, এখন সেটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় আছে। "আমরা তাকে ধর্ষণ এবং প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে সে ২৮৬টি বিয়ের কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সে বিয়ে করত এবং স্ত্রী ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে নানা উছিলায় টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত।" তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করলে যখন ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ হয়, তখন তার বিরুদ্ধে একই সময়ে প্রতারণামূলক বিয়ের অভিযোগে ঢাকার মিরপুর, গাজীপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় মোট ৬টি মামলা হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: প্রতিবাদের মুখে রং ফর্সা করার ফিল্টার সরালো ঘটকালির ওয়েবসাইট ‘যখন বুঝতে পারলাম আমার বিয়ে হয়েছে এক নপুংসকের সঙ্গে’ 'বিয়ের জন্য কনে অপহরণের প্রথা' বিলোপ করবে ইন্দোনেশিয়া করোনাভাইরাস: হাসপাতালেই বিয়ে ডাক্তার আর নার্সের মি. খন্দকার জানিয়েছেন, তদন্তে তারা দেখতে পেয়েছেন, এসব বিয়ের জন্য ভুয়া কাজী এবং ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করে বিয়ে করতেন ওই ব্যক্তি। তথ্য গোপন করে বিয়ে করা কি সহজ বাংলাদেশে? পুলিশ কর্মকর্তা মি. খন্দকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতারণা করে বিয়ে করার অভিযোগ অনেক পান তারা। অনেক ক্ষেত্রে মামলাও হয়না, সমঝোতার মাধ্যমে অনেকে মিটিয়ে নেন। তবে, তিনি জানিয়েছেন, এসব প্রতারণার অভিযোগ কেবল পুরুষ নয়, নারীদের বিরুদ্ধেও পাওয়া যায়। "মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান---সব ধর্মেই কমবেশি বিয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।" তবে বছরে এ ধরণের প্রতারণার কতগুলো ঘটনা ঘটে, কিংবা কতগুলো মামলা হয় সে নিয়ে সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। কেবল গণমাধ্যমে আলোচিত হলেই সেগুলো সামনে আসে। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার সমিতির মহাসচিব কাজী ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে যেভাবে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়, তাতে এধরনের প্রতারণা বন্ধের উপায় বলতে গেলে নেই। বেশিরভাগ সময় বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয় না "আমাদের কাছে যে ধরণের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয়, তাতে বিয়ের পূর্ব ঘটনার কোন রেফারেন্স থাকে না। যেমন ধরেন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ---এর কোথাও তো ব্যক্তির বৈবাহিক অবস্থার উল্লেখ থাকে না।" সাধারণ ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ চাওয়া হয়। এর সঙ্গে পূর্বে বিবাহিত হলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতিপত্র, বা অনুমতি দিয়ে চেয়ারম্যানের সনদ, এবং তালাক-প্রাপ্ত হলে সে সংক্রান্ত সনদ চাওয়া হয়। মি. হোসেন বলছেন, "কিন্তু কেউ প্রতারণা করতে চাইলে এসব কোন নিয়ম দিয়েই আটকানো যায় না। কারণ কেউ যদি সব অস্বীকার করে, কিভাবে সেইটা ঠেকানো যাবে? বর্তমানে দেশে তো সে ব্যবস্থা নাই।" কেন ঘটে এমন? বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে বা প্রতারণা করে বিয়ে করা খুবই সহজ। এর কারণ হিসেবে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক নীনা গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, প্রধানত আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করেই এ ধরণের প্রতারণার ঘটনা ঘটে। "প্রধান কারণ হচ্ছে, দেশে সেন্ট্রাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন বা বিয়ে নিবন্ধন বিষয়ক কেন্দ্রীয় কোন ব্যবস্থা নেই।" বিবিসি বাংলায় দেখতে পারেন: করোনাভাইরাস: লকডাউনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে চলছে বিয়ের ধুম "বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য যদি ডিজিটালাইজড হত অর্থাৎ অনলাইনে বিষয়টি যাচাই করার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে এসব প্রতারণা ঘটনা অনেক কমে আসত।" বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে দেখা গেলে, প্রথম বিয়ের পর কেউ পুনরায় বিয়ে করতে গেলে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা রেজিস্টারে দেখা যেত। ফলে প্রতারণাটা ধরা পড়ে যেত, যা এখন ধরার উপায় নেই। "ধরুন কেউ রংপুরে একটি বিয়ে করেছে, তথ্য লুকিয়ে পরের বিয়েটি কুষ্টিয়া বা সিলেটে বা চট্টগ্রামে করলো, এখন সেখানকার লোকে এটা যাচাই করবে কোথায়?" তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি বা চেয়ারম্যানের অনুমতিপত্র লাগে। "কিন্তু বিয়ে নিবন্ধনের সময় সেটা নিয়েও অনিয়ম হয়, মানে প্রায়ই দেখা যায় সেটা না দেখেই বিয়ে দেয়া হয়েছে। অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মিথ্যা তথ্য দিল, সেটাও তো বিয়েশাদীর সময় তাড়াহুড়ায় যাচাই করার উপায় থাকে না।" সামাজিক প্রেক্ষাপট দায়ী? বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও এ ধরণের প্রতারণার ঘটনার জন্য কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে নারীর অধস্তন অবস্থানের কারণে এমন ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা "এখানে অবস্থাটা এরকম যে, সাধারণভাবে মেয়েকে কোনভাবে পার করতে পারলেই বাঁচে বাবা-মায়েরা। দেখা যায় ছেলে বিদেশে থাকে, সেখানে কি কাজ করে, কী তার পূর্ব ইতিহাস---কোন কিছু যাচাই না করে বিয়ে দেয়া হয়। এটা কেবল গ্রামে নয়, শহরেও ঘটে। উচ্চ শিক্ষিত পরিবারেও ঘটে।" "এছাড়া সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও পরিবারে এক ধরণের উদ্বেগ থাকে, যে কারণে পরিচয় এবং ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই না করে বিয়ে দিয়ে প্রতারণার অনেক ঘটনা ঘটে।" পুলিশ বলছে অনেক সময় নিবন্ধন না করেও বিয়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতিটি বিবাহ সরকার নির্ধারিত কাজির কাছে রেজিস্ট্রেশন না করা হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বিয়েটি বাতিল বলে গণ্য হবে না। এছাড়া হিন্দু খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্যও বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের বিধান রয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে ঠিকমত জানেন না। সরকার কী ভাবছে? সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে এ ধরণের প্রতারণা করে বিয়ে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। "যেহেতু বাংলাদেশে এখনো অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ অর্থাৎ পরিবারিকভাবে দেখাশোনার মাধ্যমে বিয়ে বেশি হয়, ফলে এসব প্রতারণা বন্ধের জন্য একটি ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্যে আমরা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা অনলাইন করার কথা ভাবছি। সেই সঙ্গে আরেকটি হচ্ছে বিয়ের জন্য বাধ্যতামূলক জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন, যেটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।" আইনমন্ত্রী মনে করেন এতে প্রতারণা কমে যাবে বা বন্ধ হবে। তবে, কবে নাগাদ ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা অনলাইন হবে, সেটি তিনি বলতে পারেননি। "টাইম ফ্রেম আমি দিতে পারবো না, কিন্তু এটা বলতে পারি আমরা (সরকার) খুব সিরিয়াস এ ব্যাপারে।" এই মূহুর্তে বাল্যবিবাহ বন্ধের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও এখানে পরিচয় গোপন রেখে কিংবা আইনের ফাঁক গলে একাধিক বিয়ের ঘটনাতো আকছার ঘটেই, এমনকি এক ব্যক্তির শতাধিক বিয়ের খবরও পাওয়া যায়।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো গত কদিন ধরে ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর আজ আবার বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এই বৈঠকে ঠিক কি নিয়ে কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বৈঠকের কয়েক ঘন্টা আগে বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, জাতিসংঘ বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। এই ফর্মূলায় শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু নির্বাচনে যাতে সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা যায় সেজন্য জাতিসংঘ নানা রকম সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এর একটি হচ্ছে জাতিসংঘের একটি বড় পর্যবেক্ষক দলের উপস্থিতিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান, যাতে করে নির্বাচনে কোন ধরণের পক্ষপাতিত্ব বা সরকারি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা রোধ করা যায়। বিএনপির সূত্রটি জানায়, জাতিসংঘের এই কথিত ফর্মূলা নিয়ে আলোচনায় অনাগ্রহ দেখায়নি দলটি। উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত বিএনপির আনুষ্ঠানিক এবং প্রকাশ্য অবস্থান হচ্ছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো গত কদিনের মধ্যস্থতার সময় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া যায় কীনা, সে সম্ভাবনাটাই বেশি খতিয়ে দেখছিলেন বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন জাতিসংঘ দূতের এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল, কেবল মাত্র বড় দুটি দলের মধ্যে সমঝোতা হলেই নির্বাচন পেছানোর কথা ভাবা যেতে পারে।
ঢাকা সফররত জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে রেখেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের এক ফর্মূলায় বিএনপিকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন বলে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সিরিয়ায় হামলা প্রশ্নে একমত হতে পারছে না নিরাপত্তা পরিষদ এর পক্ষে দেশ তিনটি যেসব যুক্তি দেখাচ্ছে, তা প্রধানত জোর দিচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ওপর। তারা বলছে, এই হামলার লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের মওজুদ ধ্বংস করা এবং সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে এরকম রাসায়নিক হামলা প্রতিরোধ করা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে যুক্তি দেখাচ্ছেন যে ব্রিটেন সবসময় বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এটা ব্রিটেন করেছে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে বিচার করলে, এসব যুক্তি কিন্তু বিশ্বকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় জাতিসংঘ সনদ গৃহীত হওয়ার পূর্ববর্তী সময়ে। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, কোন দেশ আত্মরক্ষার্থে এবং কোন জনগোষ্ঠী, যারা নির্মূল হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের রক্ষায় সামরিক বল প্রয়োগ করতে পারে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার মত বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনেও বল প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে। তবে জাতিসংঘ সনদের এই ধারাটি কেবল ব্যবহার করা যাবে যখন কোন দেশ, যার বিরুদ্ধে সত্যিকারের বা আসন্ন হুমকি আছে, তার নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেই। আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা চাল হিসেবে এটিকে যেন ব্যবহার করা না যায়, সেই ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা আছে জাতিসংঘের সনদে। যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-ফ্রান্স এই হামলা চালিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া কাজেই ১৯৪৫ সালের জাতিসংঘ সনদ পরবর্তী আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিশোধ হিসেবে সামরিক বল প্রয়োগ বা কোন দেশকে 'শিক্ষা দেয়ার' জন্য সামরিক হামলা চালানো যায় না। 'প্রতিশোধমূলক' ব্যবস্থা তো নীতিগতভাবেই বেআইনি। তবে সেটাকে মেনে নেয়া যায় যদি তার লক্ষ্য হয় কোন দেশকে আন্তর্জাতিক আইন-কানুন মানতে বাধ্য করা। ১৯৮১ সালে ইসরায়েল যখন ইরাকের পারমাণবিক চুল্লীতে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করে দেয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কিন্তু তার নিন্দা করেছিল এই কারণেই। ইসরায়েলের যুক্তি ছিল এই পারমাণবিক চুল্লী ব্যবহার করে ভবিষ্যতে 'গণবিধ্বংসী অস্ত্র' তৈরি করা হতে পারে। কেনিয়া এবং তাঞ্জানিয়ার মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার জবাবে ১৯৯৮ সালে সুদানের এক 'কথিত রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায়' যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়। সেটারও নিন্দা করেছিল জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-ফ্রান্স যুক্তি দিচ্ছে যে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে সিরিয়াকে বাধ্য করতে তারা এই বিমান হামলা চালাচ্ছে। ২০১৩ সালে সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সনদে সই করে। হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের এই কথিত 'রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণা স্থাপনা' কিন্তু এই সনদে সই করার পরও সিরিয়া তা লঙ্ঘন করে চলেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। সিরিয়ায় এসব ঘটনা কিভাবে অর্গেনাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনস (ওপিসিডাব্লিউ) তদন্ত করবে, তা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ দেখা দেয়। তদন্তের ব্যাপারে রাশিয়ার প্রস্তাবে আপত্তি জানায় পশ্চিমা দেশগুলি। আর পশ্চিমা দেশগুলির প্রস্তাবে ভেটো দেয় রাশিয়া। ফলে এ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিক এরকম একটা অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের তিন সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স যুক্তি দিচ্ছে যে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পাওয়ার কোন বাস্তব সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে তারা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজটিই করছেন। সেই সঙ্গে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করছেন। কিন্তু এই যুক্তিটি যেন ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের যুক্তিটিকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদ ইরাকের ওপর কিছু অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই তখন যুদ্ধে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন এবং আর কিছু মিত্র দেশ। এবার যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-ফ্রান্স সিরিয়ার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করে রাশিয়া। অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে নিরাপত্তা পরিষদের মূখ্য ভূমিকাকে সবার শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
সিরিয়ায় একযোগে যে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-ফ্রান্স, আন্তর্জাতিক আইনের চোখে তার বৈধতা কতটা? এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি বিশ্লেষণ করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক মার্ক ওয়েলার:
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সদ্য গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানা যাচ্ছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সৌদি বিলিয়নিয়ার প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল রয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রিন্সের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা যায়নি। তবে, ইতিমধ্যেই তার মালিকানাধীন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কিংডম হোল্ডিংসের শেয়ারের মূল্য দশ শতাংশ পড়ে গেছে। সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে দিনের শুরুতে ব্যবসায়িক লেনদেনে ধস নেমেছে। সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জ আরব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আরো পড়ুন: দুর্নীতি দমন অভিযানে সৌদি রাজপুত্র-মন্ত্রী আটক ইসলামিক স্টেটের বন্দী যোদ্ধাদের কি মেরে ফেলা হবে? সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, অভিযানের ভয়ে ব্যক্তিগত বিমান নিয়ে পালানোর সময় জেদ্দায় কয়েকটি জেটের উড্ডয়ন আটকে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জেটগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ধরপাকড়ের প্রতি সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এক টুইট বার্তায় বলেছে, দুর্নীতি দমন অভিযান সৌদি আরবের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মতই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুর্নীতি বিরোধী এই ধরপাকড় এবং দুজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেবার পর, সৌদি আরবের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একক কর্তৃত্ব সুসংহত হলো। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই কমিটির লক্ষ্য জনগণের জানমালের সুরক্ষা দেয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া। দুই সপ্তাহ আগে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কয়েক হাজার আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীকে নিয়ে রিয়াদে একটি বিনিয়োগ সম্মেলন করেন। সেখানে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরবের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে তাঁর পরিকল্পনার মূলমন্ত্র হবে ইসলামের কট্টর অবস্থান থেকে উদারনীতিতে ফিরে আসা। তেলের বাইরে সৌদি অর্থনীতির জন্য ভিন্ন এক ধরণের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার খোঁজে এই সম্মেলন করা হয়। কিন্তু 'হাই প্রোফাইল' লোকজনকে আটকের খবরে আর্থিক ব্যবস্থায় ধস নামতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। চলতি বছর জুনে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন নব গঠিত একটি দুর্নীতি দমন কমিটি দেশটির ১১জন প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে সৌদি ন্যাশনাল গার্ড এবং নৌবাহিনী প্রধানের পদেও করা হয়েছে রদবদল।
সৌদি আরবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ১১জন প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং প্রায় ডজন খানেক সাবেক মন্ত্রী গ্রেপ্তার হবার পর দেশটিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই আশাবাদের কারণ, বাংলাদেশের কূটনৈতিক দেন-দরবারের কারণে প্রথমবারের মত চীন এবার এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছে। কিন্তু চীনকে সম্পৃক্ত করেও তেমন কোনও সাফল্যের লক্ষণ এখনও নেই। রোহিঙ্গাদের মনে নিরাপত্তার ভরসা তৈরি করতে মিয়ানমার যে উল্লেখযোগ্য কিছু করছে তার কোন ইঙ্গিত দেখা যায়নি। তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ওপর এতটা ভরসা করা কতটা সঙ্গত হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য? এ ব্যাপারে কুয়ালালামপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বাইরে তৃতীয় দেশ হিসেবে শুধুমাত্র চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে।" "তবে অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত নিরাপত্তাসহ আরও নানা ইস্যুতে মিয়ানমার ও চীন একে অপরের ওপর অনেক নির্ভরশীল। তাদের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। চীনের সমর্থন ছাড়া মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের মদদ পাওয়া বেশ কঠিন।" কাজেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে, বাংলাদেশের সহায়তায় চীন কতোটা এগুবে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায় বলে, উল্লেখ করেন মিঃ আলী। মিয়ানমার এবং চীনের পতাকা। চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ কী? এর পেছনে দুটি কারণকে চিহ্নিত করেছে মিঃ আলী। প্রথমত, মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীনের স্বার্থ। এবং দ্বিতীয়ত চীনের গ্যাস এবং জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের সম্পৃক্ততা। চীন এমন কয়েকটি ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চীন বড় কোন চাপ প্রয়োগ করবে বলে তিনি মনে করেন না। মিঃ আলী জানান, মিয়ানমারের ভেতরে চীনের বহু দশকের বিনিয়োগ রয়েছে। বিশেষ করে ষাটের দশক থেকে মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসন এবং অতি সম্প্রতি যে দলীয় রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এর কারণ মিয়ানমারের স্বার্থ নয়। এর কারণ চীনের একটা বিশাল অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক স্বার্থ রয়েছে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই -র সঙ্গে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের মলাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনের ৮৫% তেল এবং জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ হয়। সেই প্রণালীতে শত্রু ভাবাপন্ন দেশের নিয়ন্ত্রণ থাকায় চীনকে নানারকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। চীনের বড় আশঙ্কা হল এই প্রণালীকে তারা যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারে, তাহলে যে কোন সময়, তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেজন্য তারা মিয়ানমার, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের মাধ্যমে তাদের জ্বালানি সরবরাহের বিকল্প একটি ব্যবস্থা করে রেখেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে চাউথিউ নামের একটি বন্দরে চীন সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। চীন মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল এবং জ্বালানি গ্যাস আমদানি করে, যা কিনা এই বন্দরে নামানো হয়। এই তেল এবং জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের জন্য চীনারা গত কয়েক বছর ধরে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে ওই বন্দর দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসিয়েছে এবং এজন্য মিয়ানমারকে তাদের অনেক অর্থ দিতে হয়েছে। ওই পাইপলাইন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তেল এবং জ্বালানি গ্যাস চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে পাঠানো হয়। পাইপলাইনের যেন কোন ক্ষতি না হয় এবং জ্বালানি তেল/গ্যাসের সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকতে পারে, সেজন্য চীন কিছুটা মিয়ানমার সরকারের কাছে দায়বদ্ধ বলে মনে করেন মিঃ আলী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দফতরবিষয়ক মন্ত্রী কিয়াও তিন্ত সোয়ে। কাজেই এই পাইপলাইন যেহেতু রাখাইন অঞ্চলের ভেতর দিয়ে যায়। তাই রাখাইন রাজ্য যেন মিয়ানমার সরকারের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটা চীনের স্বার্থের মধ্যেও পড়ে। "যখন মিয়ানমার সরকার দাবি করছে যে, আরাকানি বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ পুলিশ, আধাসামরিক ও সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীও ওই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন চীন এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারছেনা।"- বলেন মিঃ আলী। এদিকে ক'দিন আগেই মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। সেসময় চীনা রাষ্ট্রদূত আবারও জোর দিয়ে বলেছেন যে, রোহিঙ্গা প্রশ্নে যেকোনো আন্তর্জাতিক চাপ সামাল দিতে চীন সবসময় মিয়ানমারের পাশে থাকবে। ভারত বাংলাদেশের মিত্র দেশ হলেও মিয়ানমার প্রশ্নে তারা চীনের মতো নীতিমালা অনুসরণ করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত এবং সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বৈরি হলেও মিয়ানমার প্রশ্নে এই দুই দেশ গত দুই তিন দশক ধরে একই নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে বলে জানান মিঃ আলী। আর তা হল, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাই ঘটুক না কেন, বাইরে থেকে তারা কোন ধরণের চাপ আসতে দেবেনা। ভারত বাংলাদেশের মিত্র দেশ হওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। মিঃ আলীর মতে, চীন বা ভারত কোন দেশই নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশের স্বপক্ষে এসে দাঁড়াবেনা। এটা বাংলাদেশ যতো দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে ততোই মঙ্গল। উখিয়ায় একের পর এক পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে রোহিঙ্গা বসতি। এদিকে, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই সংকটপূর্ণ অবস্থা চলতে থাকলে সন্ত্রাসবাদ জন্ম নিতে পারে এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টাকে আদৌ কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে মিয়ানমার, চীন বা ভারত? এমন প্রশ্নে মিঃ আলী বলেন, "সন্ত্রাসবাদের এই আশঙ্কাকে মিয়ানমার, চীন বা ভারত সবাই আমলে নিয়েছে। কিন্তু আপাতত তারা এই মুহূর্তে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপেক্ষিক স্বার্থের দিকগুলোকেই বেশি বিচার-বিবেচনা করছে।" বাংলাদেশের সামনে তাহলে উপায় কী? রোহিঙ্গা সংকট সামাল দিতে বাংলাদেশকে আরও বাস্তবসম্মত নীতিমালা গ্রহণ করার পাশাপাশি, স্বনির্ভর হয়ে ওঠা প্রয়োজন বলে মনে করেন মিঃ আলী। "অন্য দেশের ওপর অতি নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের উচিত হবে অর্থনৈতিক নীতিমালা শক্তিশালী করা, দেশের অভ্যন্তরে সমর্থনের যে ঘাঁটি রয়েছে সেটা গড়ে তোলা। যেন বাংলাদেশ নিজের দেখাশোনা নিজেই করতে পারে।" আরও পড়তে পারেন: 'ইন্ধনদাতা এনজিওগুলোর তালিকা করছে বাংলাদেশ' বার্মিজ মিডিয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চেষ্টা প্রত্যাবাসন সঙ্কট: ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বহু রোহিঙ্গা গত ৭০ বছর ধরে অমীমাংসিত ফিলিস্তিন সংকট সেইসঙ্গে সাম্প্রতিক কাশ্মীরের অস্থির পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে মিঃ আলী বলেন, "এটি শুধু রোহিঙ্গাদের বিষয় নয়। যেকোনো দুর্বল জনগোষ্ঠী কোন সবল জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে উঠে দাঁড়ায়, তখন তাদেরকে কেউই সমর্থন করেনা বা সমর্থন করলেও অতি সীমিত সমর্থন করে। তেমনি বাংলাদেশ বা রোহিঙ্গা কারও ব্যাপারেই কোন রাষ্ট্র নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে অন্য রাষ্ট্রকে সমর্থন করতে যাবেনা।"
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তীব্র আপত্তির কারণে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার আরেকটি প্রয়াস কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা এখনও হাল ছাড়ছেন না এবং আশা করছেন রোহিঙ্গাদের রাজী করানো সম্ভব হবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সম্পূর্ণ জামানতবিহীন এই ঋণটি ৪ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত একজন উদ্যোক্তা নিতে পারবেন। সম্পূর্ণ জামানতবিহীন এই ঋণটি ৪ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত একজন উদ্যোক্তা নিতে পারবেন। পাঁচ বছরের মধ্যে ঋণটি শোধ করতে হবে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''স্টার্ট-আপ বলতে আমরা যেটা বোঝাচ্ছি, তা হলো সাধারণত দেখা যায় নতুন কিছু কিছু উদ্যোক্তা আছে, যাদের মেধা আছে, কিন্তু অর্থ নেই।" "তারা এমন কিছু ইনোভেটিভ কিছু করছে, যা দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু আনছে। কিন্তু অর্থের অভাবে তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না।'' ''সেইজন্য তাদের সার্টিফিকেট জমা রেখে তাদের জন্য স্টার্ট-আপ লোন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'' তিনি বলছেন। সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত এই ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ঋণের আকার নির্ভর করতে প্রজেক্টের মূল্যায়নের ওপর। যেভাবে ঋণের আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল হলেও এটি বিতরণ করা হবে তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে। দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক এই তহবিল হতে ঋণ দিতে পারবেন। তবে যেসব ব্যাংক এই তহবিলের পুনঃ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে চাইবে, তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট এর সঙ্গে অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে। এই ঋণ পেতে হলে একজন উদ্যোক্তাকে তার প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণী, পরিকল্পনা, নিজস্ব বিনিয়োগের ধরন ইত্যাদির বিস্তারিত তুলে ধরে ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। ব্যাংক তার আবেদনে সন্তুষ্ট হলে প্রকল্প মূল্যায়ন করে তার ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে। আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড: গ্রাহকরা কী করতে পারেন, কী পারেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ কারা রাখেন টাকায় মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া: সুরক্ষার উপায় কী? ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং হলে গ্রাহক কী করবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন করার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তাকে সরকারি অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বা অন্যান্য কারিগরি বিষয় ( পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, যন্ত্রপাতি মেরামত ইত্যাদি ) সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণের মূল সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরি শিক্ষা না থাকলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগ পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে। সম্পূর্ণ সৃজনশীল উদ্যোগের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। ঋণখেলাপি কোন ব্যক্তি এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। জামানত ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা কারিগরি যোগ্যতার সনদ জামানত হিসাবে বিবেচনা করা যাবে। এসব সনদ ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হবে। ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বলতে বোঝানো হচ্ছে, ব্যাংক ও গ্রাহক মিলে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন ব্যক্তির অঙ্গীকারনামা থাকতে হবে। তবে এ ধরণের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দুইজনের বেশি নেয়া যাবে না। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। কোন উদ্যোক্তা যেকোনো একটি উদ্যোগে একবারের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী, শনাক্তের হার প্রায় ২০% কাদের মির্জা কেন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তথ্য-প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য 'স্টার্ট-আপ ফান্ড' নামের ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদ ও মেয়াদ স্টার্ট-আপ ফান্ড থেকে যারা ঋণ নেবেন, তাদের তিন কিস্তিতে ঋণ বিতরণ করা হবে। একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন, তবে তা নির্ভর করতে তার প্রকল্পের মূল্যায়নের ওপর। সেখানে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ চার শতাংশ সুদে তিন ও ছয়মাস মেয়াদী কিস্তিতে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। স্টার্ট-আপ তহবিলের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর, তবে প্রয়োজনে তা আরও বৃদ্ধি করা হবে। ব্যাংকগুলো এই ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে পুনঃঅর্থায়ন করে নিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ০.৫০ শতাংশ হারে অর্থায়ন নিয়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ব্যাংকগুলোকে ২০২০ সালের হিসাব থেকেই নিজস্ব স্টার্ট-আপ তহবিলে অর্থ স্থানান্তর শুরু করতে হবে। ২০২২ সাল থেকে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে ঋণ নেয়া যাবে। প্রক্রিয়া সহজ করার পরামর্শ উদ্যোক্তাদের অনলাইনে জামাকাপড় বিক্রির একটি শপ রয়েছে নাজমুন নাহারের। তিনি এখন অনলাইনের পাশাপাশি একটি মার্কেটেও দোকান দিতে চান। এজন্য তিনি ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগে তিনি খুশী হলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ব্যাংকগুলোর জটিল নিয়মের কারণে ঋণের সুযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নাজমুন নাহার বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ''ঋণ নিতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করে দেখেছি, তারা যতসব নিয়মকানুনের কথা বলে, তা পূরণ করে আমাদের মতো ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া কঠিন। " "বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ফান্ড তৈরি ভালো একটি খবর। কিন্তু নিয়মগুলো এমন করতে হবে, যাতে আমাদের মতো সাধারণ উদ্যোক্তারা সহজে ঋণ পেতে পারেন।'' চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করে থাকেন আরেকজন উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি। অবশ্য এই ধরনের ফান্ডের ব্যাপারে তেমন একটা আশাবাদী নন। ''এর আগেও এরকম অনেক ফান্ডের কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু নানা নিয়মকানুনের জালে ছোট উদ্যোক্তারা তা পান না। কারা পান, কিভাবে পান আমরা জানি না। হয়তো সেজন্য নানা কানেকশন লাগে। তাই এই ফান্ডও কতটা সহায়ক হবে নিশ্চিত নই।'' তিনি পরামর্শ দেন, যেহেতু তফসিলি ব্যাংকগুলো এই তহবিল বিতরণ করবে, তাদের ঋণ বিতরণের পদ্ধতি পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা সহজে ঋণ পান। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেরা পর্যবেক্ষণ বা সার্ভে করেও ঋণ বিতরণ করতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: জার্মানিতে ৬০-এর কমবয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় 'সীমাবদ্ধতা রয়েছে' বাংলাদেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচী কি গভীর সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে?
বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তথ্য-প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য 'স্টার্ট-আপ ফান্ড' নামের ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
শিল্পী সুবোধ গুপ্তা ফেসবুক দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, শিল্পী সুবোধ গুপ্তার বিরুদ্ধে যে ইনস্টা অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটির পরিচয় ফাঁস হলে অভিযোগকারীর 'গোপনীয়তার অধিকার' ক্ষুণ্ণ হবে। পাশাপাশি তারা আরও বলছে, এতে যৌন নিগ্রহের যারা ভিক্টিম তাদের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ভারতে 'মি টু' ক্যাম্পেনের সঙ্গে জড়িত অ্যাক্টিভিস্টরা ফেসবুকের এই অবস্থানকে জোরালো সমর্থন জানাচ্ছেন। কিন্তু ভারতের আইনি বিশেষজ্ঞরা অনেকেই আবার বলছেন, এ দেশের আইনে পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগ নেই। যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ জানাতে ভারতে অনেক নারীই এখন ব্যবহার করছেন ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম ভারতের অগ্রগণ্য শিল্পী ও ভাস্কর সুবোধ গুপ্তার বিরুদ্ধে লাগাতার যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে গত বছরের ডিসেম্বরে, যখন মি টু আন্দোলন তুঙ্গে। 'হার্ডসিনঅ্যান্ড' নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশিত হয়, যার জেরে মি গুপ্তাকে গোয়ার একটি আর্ট ফেস্টিভ্যালের কিউরেটরের পদ থেকে সরেও দাঁড়াতে হয়। কিন্তু পরে যখন তিনি আদালতে যান, তখন গত সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্ট ইনস্টাগ্রামের মালিক সংস্থা ফেসবুককে নির্দেশ দেয় একটি বন্ধ খামে করে তাদের জানাতে হবে ওই হার্ডসিনঅ্যান্ড অ্যাকাউন্টের আড়ালে কে বা কারা আছেন। কিন্তু ফেসবুক এই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছে - কোর্টকে তারা জানিয়ে দিয়েছে "নিজের পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জানানোটা সারা বিশ্বেই মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত"। ভারতে হাফিংটন পোস্টের সাবেক সম্পাদক ও মিটু ক্যাম্পেনের অগ্রণী মুখ ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জিও বিবিসিকে বলছিলেন, ভারতে যৌন নিগ্রহের ভিক্টিমদের নিজের নাম প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনেক বাস্তব অসুবিধে আছে। তার কথায়, "মি-টু কেসগুলোতেও আমরা দেখেছি এই যে ভারতে একটা বিরাট সংখ্যক ভিক্টিম নিজের নাম প্রকাশ করে অভিযোগ জানাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, তার কিন্তু একটা সঙ্গত কারণ আছে। "এতে কখনও কখনও তাদের জীবন পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়ে। তারা ভিক্টিম ব্লেমিং বা ভিক্টিম শেমিং-য়ের টার্গেটে পরিণত হন।" ফলে মিস চ্যাটার্জির মতে, "সমাজের ভাবনাচিন্তা যতদিন না-বদলাচ্ছে, ততদিন যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে এলে সমাজে সেই নারীরই একঘরে হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ফিসফিসানি' ছেড়ে যখন সরব নারী সাংবাদিকরা রাখী সাওয়ান্তকে তনুশ্রীর 'ধর্ষণ', কোন পথে 'মি টু'? মি টু ক্যাম্পেনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি তবে সেই অভিযোগ যদি আদালতে গড়ায়, তাহলে অজ্ঞাতপরিচয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের আড়ালে অভিযোগকারিণীর লুকিয়ে থাকার কোনও সুযোগ নেই - বলছেন দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিজন ঘোষ। বিবিসিকে মি. ঘোষ বলছিলেন, "নিজের পরিচয় গোপন রেখে আসলে কোনও অভিযোগই আনা যায় না। ভোটের সময় দেওয়াল লিখে রাজনৈতিক অভিযোগ হয়তো আনা যায়, কিন্তু বাকি কোথাও এটা সম্ভব নয়।" "কারণ এই অভিযোগটা তো ব্যক্তিগত, তাই না? আইনের চোখে তাই পরিচয় গোপন রাখাটা গ্রাহ্য নয়।" "এর পরিণতি যেটা হবে, তা হল - যখন ওই অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ পাবে তখন কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি সরাসরি তার বিরুদ্ধেই মামলা করতে পারবেন।" "আইন এখানে খুব পরিষ্কার। আমি যদি আপনাকে হেনস্থা করে থাকি, তাহলে আপনাকে বলতে হবে কোথায়, কখন, কীভাবে ও কাকে আমি হেনস্থা করেছি!" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রিটিদের বাচ্চারা: কতটা যৌক্তিক? ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার কমাতে এসেছে নতুন টুল সোশ্যাল মিডিয়া ‘তরুণদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে’ কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে দিল্লিতে নারী সাংবাদিকদের প্রতিবাদ "তা যদি না-বলা হয়, তাহলে এরকম 'উড়ো খই গোবিন্দায় নমো' করে আদালতে কিছু হয় না", বলছিলেন বিজন ঘোষ। তবে ইদানীং ভারতে এই 'হার্ডসিনঅ্যান্ড' নামক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বহু মহিলাই বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পীর কথিত যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। ফেসবুক যুক্তি দিচ্ছে, এখন যদি কোর্টের নির্দেশে সেই অ্যাকাউন্টধারীর মুখোশ খুলে দিতে হয় - তাহলে "ভিক্টিমরাই শুধু ভয় পেয়ে যাবেন না, এই সব অন্যায়ের প্রতিকার চাইতেও কেউ সাহস পাবে না"। মি টু ক্যাম্পেনে বহু নারীর অভিযোগ যিনি সংকলন করেছেন, সেই ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জিও বলছিলেন, ভারতে থানায় গেলে বিচার মেলার ভরসা নেই বলেই কিন্তু ভিক্টিমরা এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিচ্ছেন। ভারতে গত বছর মি টু আন্দোলনের সূচনা হয় সাবেক বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর অভিযোগকে ঘিরে তার কথায়, "ভারতে নিজের নাম প্রকাশ করে অভিযোগ জানানোর অর্থ হল পুলিশ থানায় গিয়ে এটা বলা যে আমার সঙ্গে এ জিনিস হয়েছে।" "কিন্তু অনেকের পক্ষেই সেটা করে ওঠা সম্ভব হয় না। "কারণ এদেশের বাস্তবতা হল নারীদের এসব ক্ষেত্রে শুধু যৌন সহিংসতা নয় - লড়তে হচ্ছে পিতৃতান্ত্রিক একটা সমাজের বিরুদ্ধেও, সমাজের মানসিকতার বিরুদ্ধেও।" "এবং যে ধরনের একটা ইনস্টিটিউশনাল সাপোর্ট বা প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন এখানে ভিক্টিমদের পাওয়ার কথা, ভারতে সেটা প্রায় নেই বললেই চলে!" শিল্পী সুবোধ গুপ্তা। প্যারিসের একটি প্রদর্শনীতে তবে ভারতের আদালতেও ধর্ষিতার পরিচয় গোপন রাখার বিধান আছে। কিন্তু বিজন ঘোষ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই সুবোধ গুপ্তা মামলার সঙ্গে ওই ধরনের ঘটনায় একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। তিনি বলছিলেন, "শুধু ধর্ষণের মামলায় আদালত বলে দিয়েছে, যখন মামলা চলবে তখন ভিক্টিমের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।" "কিন্তু সেটা কোথায়? শুনানির সময় সেই নাম আসবে না। কিন্তু এফআইআরে তো নাম থাকতেই হবে, তা না-হলে তো সেই মামলা দাঁড়াবেই না।" মি টু-তে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ভারতের আরেক বিখ্যাত শিল্পী যতীন দাশ "অর্থাৎ কিনা, এখানেও ভিক্টিমের নাম 'রেকর্ড' করতেই হবে, কিন্তু সেটা জনসমক্ষে আসবে না বা মিডিয়া 'রিপোর্ট' করতে পারবে না", বলছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ওই প্রবীণ আইনজীবী। অন্যভাবে বললে, অভিযোগকারী কে, সেটা স্পষ্টভাবে জানা না গেলে ভারতের আদালত কোনও অভিযোগ গ্রহণই করতে পারে না বলে তিনি জানাচ্ছেন। তবে ভারতের আইন যা-ই বলুক, শিল্পী সুবোধ গুপ্তার মামলায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যে একটা 'স্ট্যান্ড' নিয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এদেশের অ্যাক্টিভিস্টদের এখন আশা, যাবতীয় চাপের মুখেও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সেই অবস্থানে অনড় থাকবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ক্রিকেট: গোলাপি বল নিয়ে নানা প্রশ্ন ও ভয় কেন হংকংএ বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ সড়ক নিরাপত্তা: নতুন আইন প্রয়োগ হচ্ছে কি? শ্রীলংকার নির্বাচনে কেন জিতলেন বিতর্কিত গোটাবায়া
ভারতে একজন নামী শিল্পীর বিরুদ্ধে একটি অজ্ঞাতপরিচয় ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ আসার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আদালতে ওই অ্যাকাউন্টধারীর পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিল্লির লাল কেল্লা এক সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে 'হু' জানিয়েছে, সবথেকে দূষিত শহর হলো উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর । সেখানে শূন্যে ভাসমান কণার পরিমাণ নিরাপদ স্তরের থেকে প্রায় ১৭ গুণ বেশি। পিছিয়ে নেই জাতীয় রাজধানী দিল্লি আর তার লাগোয়া ফরিদাবাদ, বা উত্তর প্রদেশের প্রাচীন শহর বারাণসী। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়ন আর শিল্পায়ন হয়েছে এই ভারতীয় শহরগুলোতে - আর এটাই ব্যাপক বায়ুদূষণের একটা বড় কারণ। পৃথিবীর ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের যে তালিকা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশ করেছে তাতে ভারতের শহরগুলি ছাড়াও কুয়েত, চীন আর মঙ্গোলিয়ার কয়েকটি শহর আছে। পৃথিবীর চার হাজারেরও বেশী শহরে বায়ুতে ভাসমান ধুলিকণার নিয়মিত পরিমাপ বিশ্লেষণ করে 'হু' এই তালিকা বানিয়েছে। উত্তর প্রদেশের যে কানপুর শহরকে সবথেকে দূষিত শহর বলা হচ্ছে, সেখানকার একজন আইনজীবি ও পরিবেশবাদী রবি শর্মা জানাচ্ছিলেন, কেন তাদের শহরে বায়ুদূষণের পরিমান এত বেশি। "আমাদের শহরে গাছগাছালি খুবই কম। যদিও একটি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ১৬ % জমি পার্ক বা বৃক্ষায়ণের জন্য রাখা ছিল। কিন্তু সেই সব জমি অন্য কাজে বিলি অথবা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আইন বাঁচিয়েই করা হচ্ছে ব্যাপারটা। শহরের আয়তন বৃদ্ধি করে দেখানো হচ্ছে যে নির্দিষ্ট পরিমান জমি সবুজায়নের জন্য রাখা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের হিসাবেই শহরের পুরনেো শহরের মাত্র এক শতাংশ জমিতে পার্ক রয়েছে," - বলছিলেন মি. শর্মা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দুবাই রাজকন্যার পলায়ন নাটক, বিতর্কে নরেন্দ্র মোদী কেন সুচির সুর নরম, নিরাপত্তা পরিষদ কি বলেছে তাকে 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' 'ইসলাম বিদ্বেষ কমছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক' ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক বিশেষ সবচেয়ে দুষিত ২০ শহরের ১৪টিই ভারতে এছাড়াও রাস্তা তৈরী হচ্ছে, অথচ তার পাশে আইন অনুযায়ী গাছ লাগানো হচ্ছে না, উন্মুক্ত মাটি রেখে দেওয়া হচ্ছে - যার ফলে ধুলিকণা অত্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছিলেন কানপুরের পরিবেশবাদী রবি শর্মা। কলকাতার পরিবেশবাদী সুভাষ দত্ত বহু বছর ধরে পরিবেশ দূষণের নানা দিক নিয়ে মামলা করে আসছেন। তিনি বলছিলেন, ভারতে পরিবেশ রক্ষার আইনগুলো শুধুই খাতায় কলমে রয়েছে, সেগুলোর প্রয়োগ হয় না। মি. দত্তর কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে ভারতের থেকেও অনেক উন্নত দেশ রয়েছে, যারা শিল্পস্থাপনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। সেইসব দেশের শহরগুলিতে তো পরিবেশ দূষণের সমস্যাটা এত ভয়ঙ্কর নয়! এর কারণ ব্যাখ্যা করে মি. দত্তর মন্তব্য, "শিল্প ক্ষেত্রে দুই ভাবে আইন ভাঙ্গা হচ্ছে - তৈরীর সময়ে আর শিল্পকারখানা চালু হয়ে যাওয়ার পরেও। পরিবেশ রক্ষা ব্যবস্থাপণা করতে গেলে যে খরচ হয়, সেটাকে বাড়তি ব্যয় বলে মনে করে শিল্প মহল। তার মানেই শিল্পপতিদের মুনাফা কমে যাবে, তাই তারা পরিবেশ বিধি অমান্য করে চলেছেন। "আর পরিবেশ আদালতগুলোকেও অকেজো করে দেওয়া হচ্ছে ধীরে ধীরে। এমন দিনও দেখতে হবে হয়তো যখন এইধরণের আন্তর্জাতিক রিপোর্টে সবকটি দূষিত শহর শুধুই ভারত থেকেই স্থান পাবে!" পরিবেশ দূষণ ক্ষেত্রে ভারতের নামকরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্টের বা সি এস ই-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী বলছিলেন, উন্নত দেশগুলিতে গোড়া থেকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের ওপরে কড়া নজর দিয়েছিল, যেটা ভারতে করা হয় না। ভারতের কানপুর রয়েছে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে "শিল্পোন্নত দেশগুলিতেও গোড়ার দিকে বায়ুদূষণের প্রবল সমস্যা ছিল। লন্ডন স্মগ বা পেনসিলভানিয়া স্মগের কথা সকলেই জানি। কিন্তু ওখানে যেটা করেছিল যে, শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনের ওপরেও ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছিল। আমাদেরও উন্নত হতে হবে, কিন্তু একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি বা আইনগুলোকে কড়া ভাবে প্রয়োগ করতে হবে," বলছিলেন অনুমিতা রায়চৌধুরী। জাপানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছিলেন, "তারা শিল্প বিনিয়োগের ২৫% অর্থ পরিবেশ দূষণরোধে কাজে লাগায়। আমাদের সেই সামর্থ নেই। তাই আমরা প্রথমে দূষণ সৃষ্টি করব, আর তারপরে সেই দূষণ পরিষ্কার করব - এটা আমাদের দেশে অসম্ভব। তাই প্রথম থেকেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনে রাখতেই হবে।" মিজ. রায়চৌধুরী আরও বলছিলেন যে শহরে বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আর সেই জন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এখণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপরে দূষণের সরাসরি কী প্রভাব পড়বে, সেই হিসাব দিয়েছে। বলা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারনেই ৪২ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন। পরিবেশবাদীদের আশা, যদি নিজের বা কাছের মানুষদের স্বাস্থ্যের ওপরে বায়ুদূষণের এই ভয়াবহ প্রভাব দেখে নাগরিকদের বা আইন রক্ষকদের চেতনা জাগে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পৃথিবীর সবথেকে বেশি দূষিত ২০টি শহরের মধ্যে ১৪টিই আছে ভারতে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নির্বাচনী খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আসে কীনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গণমাধ্যম কর্মীরা নির্বাচনে দেশি বিদেশি সংস্থার পর্যবেক্ষণে করণীয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচন কমিশনের লিখিত কোনো নীতিমালা নেই। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে ভোটের আগে পরিপত্র জারি করে স্পষ্ট করা দেয়া হবে যে ভোটের দিন কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। সর্বশেষ তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকক্ষ এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে সাংবাদিকরা বাধার মুখে পড়েছেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলছেন, "এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যা বলছে সেটি পরিষ্কার না। আমার মনে হয় এটা পরিষ্কার করা দরকার। সাংবাদিক যদি আসল চিত্রটা তুলে আনতে না পারে তাহলে পর্যবেক্ষকরাও ব্যবহার করতে পারবে না সাধারণ জনগণও জানতে পারবে না।" গণমাধ্যম কর্মীদের নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা কার্ড নিয়ে ভোটের খবর সংগ্রহ করতে হয়। সেই কার্ডের পেছনে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন লেখা থাকে। সাধারণত সাংবাদিকরা কার্ড প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্র-বুথ পরিদর্শন করেন, ছবি ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ করেন। পোলিং অফিসার, এজেন্টদদের সঙ্গে কথা বলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সের ছবি তোলেন। অনেকক্ষেত্রে টেলিভিশনে বুথের ছবি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া ঘণ্টায় ঘণ্টায় কী পরিমাণে ভোট পড়ছে, বা ভোট শেষে গণনার চিত্রও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার নজির রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'গুজব রোধে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হতে পারে' নির্বাচনী আইন কি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিপক্ষে যাচ্ছে? কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কী কথা হলো? নির্বাচনী বুথ অনেক সময় সাংবাদিকরা কেন্দ্রে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির চিত্রও পান এবং সেটি প্রকাশ করেন। বিগত ৫টি সিটি নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোট দেয়ার চিত্রও উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। সেই খবর জেনে কিছু কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনা বাতিলেরও নজির রয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্বেগ নিয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বিবিসিকে বলেন, সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের সম্মতি নিয়ে বুথে যেতে পারবে। এমনকি তারা ক্যামেরায় ছবি ধারণ করতে পারবে। "যেটা আমাদের নীতিমালায় নাই আমরা পরিপত্র দিয়ে সেটা বলে দিব। কিন্তু কোনো লাইভ ব্রডকাস্ট করতে পারবে না বুথের মধ্যে থেকে। আর গোপন কক্ষ তো সবার জন্যই নিষিদ্ধ। প্রিজাইডিং অফিসারের অবশ্যই সম্মতি নিতে হবে ভেতরে ঢুকতে হলে, কক্ষের মধ্যে ঢুকতে হলে। আর ভোট গ্রহণে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয় এভাবে কোনো লাইভ দেখাতে পারবে না"। কিন্তু প্রতি কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের আপত্তি আছে । নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন কোনো লাইভ ব্রডকাস্ট করা যাবে না বুথের মধ্যে থেকে বাধ্যতামূলক অনুমতির বিরোধিতা করে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বলছেন, "নির্বাচনের আগেই কমিশন কার্ড দিয়ে থাকে- ওটাই তো অনুমতি। এরপরে আবার কেন্দ্রে গিয়ে যদি অনুমতি নেয়ার সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে হয় তাহলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যেতে হয়! নির্দিষ্ট একটা টাইমে ভোট পড়ছে -নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু ঘটনা বা দুর্ঘটনা যদি ঘটে সেটি কম সময়ের মধ্যে, এখানে যদি আপনাকে প্রক্রিয়া মানতে হয় তাহলে আপনি খবর সংগ্রহ করতে পারবেন না।" একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর সংগ্রহ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। সেখানেও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতির প্রসঙ্গ আসলে তার বিরোধিতা করা হয়েছিল গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষ থেকে। এদিকে গণমাধ্যমে খবরের পাশাপাশি নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে সেটি উঠে আসে দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষণে। দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কমিশনে নীতিমালা থাকলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ব্রিফিং করে পর্যবেক্ষকদের কিছু মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সে নির্দেশনায় কমিশন সচিব ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন না নেয়া, ছবি না তোলা এবং গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি এমনও বলেছিলেন যে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কমিশন সচিবের এসব নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ফেমার সভাপতি মুনিরা খান বলেন, "ব্রিফিংয়ের ভাষায় সবার মধ্যে একটা কনফিউশন (বিভ্রান্তি) হয়েছে। যে কারণে এটা মিডিয়াতে এত আলোচনায় এসে পড়েছে। এবং সবাই একই বিষয়ে আলোচনা করছে যে এভাবে তাহলে কীভাবে পর্যবেক্ষণ হবে? আমি বিদেশে অনেক জায়গায় ইলেকশন দেখেছি। আমরা কিন্তু তৎক্ষণাৎ কথা বলেছি। যদি আপনি কথা বলতে না দেন তাহলে কিন্তু একটা সন্দেহ থাকে, কিছু না হলেও একটা সন্দেহ থাকে যে এখানে কী হচ্ছে? কেন বলতে দেয়া হচ্ছে না?" তবে পর্যবেক্ষণ বিতর্ক নিয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জানান পর্যবেক্ষকরা মোবাইল ফোন সঙ্গে নিতে পারবেন, তবে ব্যবহার করতে পারবেন না। ফেমা সভাপতি মুনিরা খান "উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা থাকার কোনো কারণ নাই যেহেতু একটা নীতিমালা আছে এবং নীতিমালাটিই অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরও করতে হবে। এই নীতিমালার পরেও প্রশ্ন উঠছে যে পর্যবেক্ষকরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে কিনা বা ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবে কিনা? এখন পর্যবেক্ষকরা ক্যামেরায় ছবি তুলতে পারবে। পরিপত্র আমরা দিব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যে কেন্দ্রে এবং কক্ষে তারা থাকতে পারবে। তবে সেখানে অবস্থানটা দীর্ঘ সময় হবে না। মোবাইল অবশ্যই বহন করতে পারবে," বলছেন কবিতা খানম। গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনকে গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবার সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছে না। আর কমিশনের নিয়মে কড়াকড়ির কারণে দেশীয় কিছু নামকরা সংস্থাও এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারছে না। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কারা 'হ্যাক' করছেন নিজেদের শরীর, আর কেন? এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল পাকিস্তানে সামাজিক নাটক করার লড়াই কতটা কঠিন ছিল
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন বিধি নিষেধ বা কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
টুরিন শহরের আলোচিত সেই যৌনপল্লী এই শহরের খ্যাতি গাড়ি আর চকোলেটের জন্য। কিন্তু সম্প্রতি আলোড়ন এবং বিতর্ক তৈরি করেছে সেখানে খোলা এক নতুন ব্যবসা - নতুন ধরনের এক যৌনপল্লী। সেখানে নারী যৌনকর্মীর পরিবর্তে আছে কেবল যৌন পুতুল বা সেক্স ডল। এই পুতুলগুলোর সাথেই যৌন কর্ম করে খদ্দেররা। এই যৌনপল্লীর প্রতিটি কক্ষে আছে একটি করে বিছানা। হালকা লাল আলো জ্বলছে ভেতরে। রুমের ভেতরেই আছে শাওয়ার। টেলিভিশন। আর আছে একটি করে সেক্স ডল। পুতুলগুলো একেবারেই নরম। মোট ১২টি পুতুল আছে সেখানে। প্রতিটির চুলের স্টাইল আলাদা, দেহের গঠন আলাদা, পরনের পোশাকও আলাদা। এসব পুতুল তৈরি করা হয়েছে সিলিকন দিয়ে। কিন্তু দেখতে একেবারে জীবন্ত। যৌনপল্লীর একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখানে এখানে ম্যাজিক বিক্রি করছি। পুতুলের এই যৌনপল্লীটি চালান এক মহিলা। বয়স তার পঞ্চাশের কোঠায়। নিজের নাম বলতে চাইলেন না। কিন্তু তিনি কি আইন মেনে এই ব্যবসা চালাচ্ছেন? "অবশ্যই এখানে সবকিছু বৈধ, আইন মেনেই করা হচ্ছে। এখানে অনৈতিক কিছু হচ্ছে না, কাউকে শোষণ করা হচ্ছে না। এখানে লোকজন আসছে, ফুর্তি করছে। তারা কারও কোন ক্ষতি করছে না," বলেন তিনি। সারা বিশ্বেই সেক্স ডলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আরো পড়তে পারেন: কোন বয়সে হওয়া উচিত প্রথম যৌনমিলন? মিশরে ওষুধের দোকানে মিলছে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা' মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা পরের ঘরটিতে ছিল একজন খদ্দের। নার্সের পোশাক পরা এক পুতুলের সঙ্গে বসে আছেন তিনি। যদি যৌন কাজের জন্যই তিনি এখানে এসে থাকেন, তাহলে একজন সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষের পরিবর্তে কেন একটা পুতুলকে তিনি বেছে নিচ্ছেন? তিনি জবাব দিলেন, "একজন যৌনকর্মী একজন সত্যিকারের মানুষ। আপনি দেখতে কেমন, আপনি কি কল্পনা করেন, সেসব নিয়ে সে হয়তো আপনাকে বিচার করবে। কিন্তু একটা পুতুলের ক্ষেত্রে তার বালাই নেই। তখন আমাকে কেবল নিজের তৃপ্তির কথাটাই ভাবতে হবে। নিজেকে অনেক বেশি ভারমুক্ত মনে হবে।" যৌনকর্মীর বদলে খদ্দেররা কেন যাচ্ছে সেক্স ডলের কাছে প্লেবয় ম্যাগাজিনের ফটো শ্যুট চলছে একটা জায়গায়। মডেল মারিনার ছবি তোলা হচ্ছে। ফিতা দিয়ে চুল বাঁধা, নখে টকটকে লাল নেইল পলিশ, পায়ে ল্যাটেক্সের বুট। নিজের পেশা নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন মারিনা? তিনি বলেন, "আমার পেশা নিয়ে আমি মোটেই উদ্বিগ্ন নই। এটাকে আমি প্রতিযোগিতা বলেই মনে করি না।" সেক্স ডল কি ভবিষ্যতে যৌনকর্মীদের জায়গা নিয়ে নেবে? "না, আমার তা মনে হয় না। তবে একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে। কারণ এই ব্যাপারটি হয়তো অনেকের কাছে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে।" এসব সেক্স ডল আসলে নারীকে একটা বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করছে বলে সমালোচনা আছে। তবে সেক্স ডলের মালিকরা দাবি করছেন, তারা এসব সেক্স ডলকে শ্রদ্ধার চোখেই দেখেন। এদের একজন যুক্তরাজ্যের ডীন। তার নয়টি সেক্স ডল আছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ডীনের ছেলেমেয়েরাও তার কাছ থেকে চলে গেছে। নিঃসঙ্গ বোধ করছিলেন তিনি। তখন এসব সেক্স ডল নাকি তার শূন্যতা পূরণ করেছে। কিন্তু ব্যাপারটা কি খুব বিদঘুটে এবং একটু ভৌতিক নয়? জার্মানির একটি সেক্স ডল যৌনপল্লী। "কেন আপনার বিদঘুটে বা ভৌতিক মনে হচ্ছে? আমার পুতুলগুলো কাউকে বাছবিচার করে না। কোন বাজে কথা বলে না। আর তারা ব্রেক্সিটের জন্য ভোট দেবে না। আর এজন্যেই আমি তাদের পছন্দ করি," ডীনের সোজা জবাব। কিন্তু ডীন যদি আবার কোন নারীর সঙ্গে প্রেম শুরু করেন এবং সেই নারী যদি এই সেক্স ডলের ব্যাপারে আপত্তি জানান, তখন কী হবে? তিনি বলেন, "না, আমি একে বাদ দিতে পারবো না। গত কয়েক বছরে ও আমাকে এত দিয়েছে যে, আমি ওকে ছাড়তে পারবো না। কখনোই না।" ডীন বলছেন, এই সেক্স ডল তাকে সুখী করেছে। আর ইটালিতে এসব সেক্স ডল অর্থ নিয়ে আসছে। শুধু ইটালি নয়, এই সেক্স ডলের ব্যবসা এখন জমজমাট স্পেন, রাশিয়া, জার্মানিসহ আরো অনেক দেশে। আরো পড়তে পারেন: ইজতেমা একটাই হবে, সাদ কান্দালভী আসছেন না ইউনিপেটুইউ কেলেঙ্কারি: ছয়জনের ১২ বছর জেল প্রচণ্ড গুলি গ্রেনেড থেকে যেভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন পাইলট মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস গড়া নারী বাড়ি থেকে বিতাড়িত
ইটালির টুরিন শহরে সম্প্রতি খোলা এক যৌনপল্লী তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই যৌনপল্লীতে নারী যৌনকর্মীর পরিবর্তে আছে সেক্স ডল। চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ব্যবসাও করছে ভালো।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দুগ্ধ জাতীয় পণ্য। সম্প্রতি গরুর দুধেও জীবাণু পাওয়া গেছে। রমজান মাস শুরুর আগে খোলা বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট বা বিএসটিআই। এরপর সেসব পণ্য বিএসটিআই-এর ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর মধ্যে ৫২টি পণ্য ল্যাব পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিন যুক্ত লবণ, লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট এবং ঘি। বাজারে ক্রেতাদের কাছে সুপরিচিত বেশ কয়েকটি কোম্পানির পণ্যও রয়েছে এসবের মধ্যে। বিএসটিআই এসব পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেগুলো এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার বা জব্দ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা। ঢাকার একটি বাজার। আরো পড়তে পারেন: গরুর দুধে জীবাণু: কী বলছে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ? ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশু মৃত্যু:আসামীরা খালাস এসব পণ্য জব্দ কিংবা প্রত্যাহারের আদেশ চেয়ে সংগঠনটির পক্ষে আদালতে রিট আবেদন দায়ের করেন সংস্থাটির আইন উপদেষ্টা শিহাব উদ্দিন খান, যিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি এসব পণ্য উৎপাদন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। এসব পণ্য বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় পুনরায় কৃতকার্য হওয়ার আগ পর্যন্ত এগুলোর উৎপাদন বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে বলে মি: খান উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে পণ্যের মান নিয়ে ভোক্তাদের উদ্বেগের শেষ নেই। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ভেজাল-বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক কানিজ ফাতেমা বলেন, সরকারি সংস্থাগুলো ঢাকার বড় বাজারগুলোতে ভেজাল-বিরোধী অভিযান চালিয়ে থাকে। এনিয়ে রমজান মাসে যতটা তৎপরতা দেখা যায়, সেটি বছরের অন্য কোন সময়ে লক্ষ্য করা যায় না। এছাড়াও এসব অভিযান বড় শহর কেন্দ্রিক। মিজ ফাতেমা বলেন, "রাজধানীকেন্দ্রিক বাজারে তারা যতটা তৎপর, রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং উপজেলা শহরে এ ধরনের তৎপরতা আমরা দেখি না।" তিনি বলেন, রমজান যত শেষের দিকে যেতে থাকে, ভেজাল বিরোধী অভিযানও তত স্তিমিত হতে থাকে। বিএসটিআই-এর নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে ৫২ টি পণ্য মানের বিচারে অকৃতকার্য হবার পরেও কেন সেগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেবার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি? এনিয়ে বিএসটিআই-এর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আরো পড়তে পারেন: প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় মিয়ানমারে বিমান আছড়ে পড়ার মুহূর্ত বিভিন্ন দেশে শিশুর যেসব নাম রাখা নিষেধ আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে কী শিক্ষা নিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা বিএসটিআই যেসব কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেটি ভোক্তাদের রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাগদাদে বৃহস্পতিবারের হামলাটি ছিল গত বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে জোড়া আত্মঘাতী বোমা আবার মনে করিয়ে দিয়েছে যে সিরিয়া এবং ইরাকে একসময় বিপুল ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠী এখনও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে। সর্ব সম্প্রতি এই হামলার লক্ষবস্তু ছিল শিয়া সম্প্রদায়। সুন্নি জিহাদিরা তাদের 'রাফিদিয়ান' বা ইসলাম অস্বীকারকারী হিসেবে খারিজ করে। "বড় শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো আইএস-এর বরাবরের কৌশল,‍ বলছেন লন্ডনের কিংস কলেজের সিকিউরিটি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক পিটার নিউম্যান, "এর মাধ্যমে একদিকে তারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে তারা চায় এসব ঘটনার পর সুন্নি সম্প্রদায়ের ওপর শিয়াদের প্রতিশোধমূলক হামলা চলুক।" "আইএস চায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত বেড়ে যাক। তাহলে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার মধ্যে তারা দেখাতে পারবে যে তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।" বাগদাদের একটি পুরোনো কাপড়ের মার্কেটে জোড়া বোমা হামলার পরবর্তী দৃশ্য। শক্তির মহড়া বাগাদের যে বাজারে ঐ হামলাটি হয় তা বেছে নেয়া হয়েছিল নানা ধরনের সুবিধের কারণে। হামলাকারীদের প্রধান লক্ষ্য ছিল সবাইকে জানিয়ে দেয়া যে ২০১৯ সালে আইএস তার খেলাফত হারালেও তারা এখনও অনেক শক্তিশালী। আক্রমণের পরিকল্পনাকারীরা আরেকটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েছিল। তা হলো ইরাকী জনগণের মায়া-মমতা। তারা জানতো, যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মানুষ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে এবং তার পাশে ভিড় করে দাঁড়াবে। বোমা হামলার শিকার ব্যক্তিদের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আত্মঘাতী হামলাকারী যখন দেখতে পেল যে তার পাশে অনেক মানুষ জমে গেছে তখনই সে নিজের কাছে রাখা বোমাটিতে বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপরও যারা বেঁচে গিয়েছিল তাদের লক্ষ্য করে দ্বিতীয় বোমাটি ফাটানো হয়। আইরিশ রিপাবলিকান বাহিনীর গোষ্ঠী আইআরএ ১৯৭৯ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ওয়ারেনপয়েন্টে একই কৌশল ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ১৮ জন সৈন্যকে হত্যা করেছিল। বাগদাদের এই হামলাটির মধ্য দিয়ে "আইএস তার শত্রু-মিত্র সবাইকে জানিয়ে দিতে চেয়েছে যে তারা এখনও আছে, এবং তারা এখনও বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত," বলছেন অধ্যাপক নিউম্যান। খেলাফতের ভূখণ্ড হারানোর পরও মধ্যপ্রাচ্যে আইএস এখন বেশ শক্তিশালী। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন আমীর ঘোষণার খবর, সত্যতা নিয়ে সংশয় অপেক্ষা শেষ হয়নি 'আইএস-বধূ' শামীমা বেগমের আইএসের ভিডিওতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হুমকি দিত যে আমেরিকান বালক গেরিলা কায়দায় হামলা কিন্তু আইএস-এর জন্য এখনকার বাস্তবতা হচ্ছে, বিপজ্জনক হলেও তারা আগের মতো শক্তিশালী নেই। আফ্রিকার জঙ্গী গোষ্ঠী বোকো হারাম ২০১৫ সালে আইএস-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। নাইজেরিয়ার জঙ্গী গোষ্ঠী বোকো হারাম ২০১৫ সালে আইএস-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। একসময় যে বিশাল ভূখণ্ড তারা নিয়ন্ত্রণ করতো সেটার আয়তন ছিল বেলজিয়ামের আয়তনের প্রায় সমান। আইএস পাঁচ বছর ধরে স্বঘোষিত 'খিলাফতে'র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো, ক্ষেতের ফসল তুলে নিত, তেল উৎপাদন করতো এবং সেই তেল কালোবাজারে বিক্রি করতো। তার চেয়েও যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা হলো তারা ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে হাজার হাজার লোককে তারা তাদের লড়াইয়ে সামিল হতে প্রলুব্ধ করতে পারতো। কিন্তু সিরিয়ার বাঘুজে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনীর হাতে পরাজয়ের মধ্য আইএস খেলাফতের অবসান ঘটে। সোমালিয়ার আল-শাবাব গোষ্ঠী বেশ কয়েকবার সরকারি সেনাবাহিনীর হামলা প্রতিহত করেছে। কিন্তু লড়াই শেষ হলেও প্রায় ১০,০০০ আইএস যোদ্ধা ইরাক এবং সিরিয়ায় পালিয়ে রয়েছে। তারা সাধারণ জনগণের সাথে মিশে আছে, সহজেই তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোগাড় করতে পারে এবং, স্থানীয় সুন্নি জনগণের মধ্যে যেকোনো ক্ষোভ-কে তারা উসকে দিতে প্রস্তুত। আইএস-এর খিলাফতের ভৌগলিক কাঠামো এতটাই বিনষ্ট হয়েছে যে তারা আবার সেটাকে মেরামত করে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারবে তেমন সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যে নিজেরাই এখন লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে তারা সেটাও মানুষকে বুঝতে দিতে চায় না। সেজন্যে তারা যে কৌশল বেছে নিয়েছে সেটা একসময় ইরাকের ইসলামিক গোষ্ঠী খুব দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতো। তা হলো: বড় লক্ষবস্তুর ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, স্থানীয় জনসাধারণকে ভয়ভীতি দেখানো এবং মানুষের জীবনযাত্রা একটু স্বাভাবিক হয়ে আসছে দেখতে পেলেই সেটাকে বিনষ্ট করা। লড়াইয়ের পরবর্তী ময়দান আফ্রিকায় মালিতে বহুজাতিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ব্রিটিশ সৈন্যরা। সিরিয়া এবং ইরাকের বাইরে, গত দু'বছর ধরে আইএস-পন্থী দলগুলো সাফল্য পেয়েছে। আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি শোচনীয় হামলার পেছনে আইএস-এর হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। এখন অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন, এই দশকে আইএস তৎপরতার প্রধান কেন্দ্র হবে আফ্রিকা। সেখানে আইএস-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আল-কায়দার সমর্থক বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে। আফ্রিকায় সাহেল-এর মতো অঞ্চল যেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল, যেখানে প্রচুর দুর্নীতি চলে এবং যেখানে সীমান্ত নিরাপত্তা নেই বললেই চলে, সেই সব এলাকায় আইএস এবং আল-কায়েদা উভয়েই তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেবে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় দুটো গোষ্ঠীই ২০২০ সালে তাদের অভিযানের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। নানা ধরনের বিধিনিষেধের মধ্যে লোকে এখন আগের মতো বাড়ির বাইরে যায় না, বড় ধরনের জন সমাবেশ হয় না, এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশসহ নানা জায়গায় হামলা চালানোর খায়েশ তাদের এখনও রয়ে গেছে এবং তাদের পক্ষ হয়ে সেসব হামলা চালাতে উৎসাহী লোকেরও অভাব নেই। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: 'নতুন' মধ্যপ্রাচ্যে জো বাইডেনের অগ্নিপরীক্ষা করোনা কেড়ে নিল টিভি ব্যক্তিত্ব ল্যারি কিং-কে যে নারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পুরুষ কেন ধর্ষণ করে’
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আই এস) একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বরখাস্তকৃত এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। হোয়াইট হাউজ বলছে, মি. ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন মি. কোমি। নির্বাচনের আগেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দেয়া বক্তব্যে মি. কোমি ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে খবর বের হয়। মি. কোমির উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের সাথে তিনি একমত যে মি. কোমি এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন এবং সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মি. কোমির বরখাস্তের বিষয়ে তাদেরকে আগে থেকে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। মি. কোমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মি. কোমিকে দায়ী করেছিলেন মিসেস ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক সংবাদ সংস্থা, পলিটিকোর প্রতিবেদক ড্যানিয়েল লিপম্যান বিবিসিকে বলেন, মি. কোমির পরিবর্তে কে আসবেন, তার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। "ওয়াশিংটনের সবাই এখন ভাবছে, এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক কি ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার মুখে নিতে পারবেন এবং তার রুশ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে কি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন? যদি এখন ট্রাম্পের নিজের কোন লোককে বসানো হয়... তাহলে অনেক আমেরিকান এখন এফবিআইকে যতটা অবিশ্বাস করে, তার চেয়ে আরো বেশি করবে"। ৫৬ বছর বয়স্ক মি. কোমিকে চার বছর আগে এফবিআই-এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তার মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ বছর বাকি ছিল। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যদিও পরবর্তীতে সেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সেসময় ডেমোক্র্যাটরা তার কড়া সমালোচনা করে। কিছুদিন আগে মিসেস ক্লিনটনও তার পরাজয়ের পেছনে মি. কোমির সেই ভূমিকাকে একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা, এফবিআই-এর প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কাতারে খাদ্য সংকটের আশংকায় লোকজন কেনাকাটার জন্য ভিড় করছে সুপারমার্কেটে ইউএই-র অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে দোহার সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে কোন পোস্ট করা হলে তাকে সাইবার অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে। পারস্য উপসাগরের প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারকে একঘরে করার পর তারা ইরান এবং তুরস্ক থেকে বিমান বোঝাই করে খাদ্য সামগ্রী আনার পরিকল্পনা করছে। সৌদি আরব, ইউএই, মিশর সহ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার অভিযোগ এনে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এদিকে তুরস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা কাতারের সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য পাঠানোর লক্ষ্যে পার্লামেন্টে দ্রুত একটি বিল পেশ করবে। ইরান এবং তুরস্ক থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে, কাতারের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় তারা সেখানে বিমানে খাবার ও পানি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলোর মধ্যে এই সংকটে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন কুয়েতের আমির। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনওয়ার গার্গাশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে তারা কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে মিলে কাতারের রাষ্ট্রক্ষমতায় রদবদল ঘটাতে চাইছেন। তিনি পাল্টা অভিযোপগ করেছেন যে ঐ অঞ্চলে উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদতদাতা হচ্ছে কাতার। কাতার তার খাদ্য এবং পানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ইরান, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে যেন খাদ্য ও পানি আমদানি করা যায় সেজন্যে সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাতারের কয়েকজন কর্মকর্তা। আরো পড়ুন: কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করলেন ট্রাম্প কাতার সংকট: কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার? কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছে সৌদি আরব সহ কয়েকটি প্রতিবেশি দেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার হুমকি দিয়ে বলেছে, কেউ যদি কাতারের প্রতি সহানুভূতিশীল বক্তব্য প্রকাশ করে, তাহলে তাকে পনের বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইরানে প্রায় চার কোটি মানুষ টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যবহার করেন কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা করে সম্প্রতি সেই অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। ফলে এই অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল মানুষজনকে যেমন বিপদে ফেলেছে, তেমনি উদারপন্থীদের হতাশ করে তুলেছে। টেলিগ্রাম অ্যাপটি ইরানিয়ানদের কাছে শুধুমাত্র একটি বার্তা পাঠানোর অ্যাপ নয়, এটা যেন আলাদা একটা জগত। সেখানে ইরানের অর্ধেক মানুষই বিচরণ করেন। ইরানি প্রেসিডেন্টের মতো অনেকে এটি গণযোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন, আবার আলী রেজার মতো অনেকের রুজিরোজগার এর ওপর নির্ভর করে, যিনি এর ওপর নির্ভর করে সংসার চালান। আলী রেজা বলছেন, ''আমি টেলিগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ইচ্ছুকদের কাছে শিক্ষা ভিডিও ক্লিপগুলো বিক্রি করি। আমার রোজগার ভালোই, দরকারি সব খরচ হয়ে যায়। টেলিগ্রাম ব্লক হয়ে থাকায় আমি সংকটেই পড়েছি।'' টেলিগ্রাম ইরানে অনেকের যোগাযোগ আর আর্থিক আয়েরও উৎস টেলিগ্রামের হিসাবে, প্রায় চার কোটি ইরানিয়ান টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যবহার করে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের রক্ষণশীল সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও। টেলিগ্রামের ওপর যদিও এই নিষেধাজ্ঞা আসার বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করা হচ্ছিল, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত অনেকে ইরানিয়ানকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তাদের একজন মেহতাদ। তিনি বলছেন, সিদ্ধান্তটি তার ব্যবসায় যেন পেরেক ঠুকে দিয়েছে। মেহতাদ বলছেন, ''টেলিগ্রামের মাধ্যমে আমার ব্যবসায়ের নতুন পণ্য আসার ঘোষণা দিতাম। এমনকি সশরীরে না গিয়ে এটি ব্যবহার করে আমি অনেক কেনাকাটাও করতে পারতাম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এর কিছুই আমি করতে পারছি না।'' টেলিগ্রাম তার গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ দেয়, যার ফলে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সেখানে নজরদারি করতে পারেনা। যে কারণে ইরানে এই অ্যাপটির এতো জনপ্রিয়তা। আর এ কারণেই টেলিগ্রামের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা। ইরানের বিচার বিভাগ বলছে, এই অ্যাপটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গত জানুয়ারিতে ইরানের অন্তত আশিটি শহর জুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানেও যোগাযোগ, ছবি আর ভিডিও আদানপ্রদানে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল গত জানুয়ারিতে ইরানের অন্তত আশিটি শহর জুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানেও যোগাযোগ, ছবি আর ভিডিও আদানপ্রদানে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। গ্রাহকদের তথ্য দিয়ে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতাদের সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছিল ইরানের কর্মকর্তারা, কিন্তু তারা তাতে রাজি হয়নি। এরই জের ধরে আসল এই নিষেধাজ্ঞাটি। ইরানের নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় আরো রয়েছে টুইটার, ফেসবুক আর ইউটিউবও। নেটওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞ সিয়ামাইক আরাম বলছেন, এখন ইরানের বেশিরভাগ মানুষ শিখে নিয়েছে, কিভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা এড়াতে হয়। তিনি বলছেন, ''গত কয়েক বছর ধরে ইরানের মানুষজন অনেক ধরণের প্রক্সি ওয়েবসাইট আর সফটওয়্যার ব্যবহার শিখে নিয়েছে, যাতে তারা এসব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে জানুয়ারির বিক্ষোভের পর প্রক্সির ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এমনকি যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জানে না, তারাও এখন শিখে গেছে, কিভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হয়।'' অনেক প্রযুক্তি পণ্য ইরানে নিষিদ্ধ থাকায় সেখানকার বাসিন্দারা বিকল্প পথে ব্যবহার শিখছেন প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, এখন ইরানে এসব অ্যাপ বন্ধ করতে হলে পুরো ইন্টারনেটই বন্ধ করে দিতে হবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। জরুশ নামের ইরানি একটি অ্যাপ ব্যবহারের জন্য উৎসাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ, কিন্তু ইরানের মানুষজনের সেই অ্যাপে বিশ্বাস নেই। টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও, যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শক্ত কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে টেলিগ্রামের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির রক্ষণশীলদের খুশি করেছে আর যারা উদারতার আশায় মি. রুহানিকে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের আরেক দফা হতাশ করেছে।
ইরানের বাসিন্দাদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশন টেলিগ্রাম, যা দেশটির অন্তত চার কোটি মানুষ ব্যবহার করে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিচ্ছেন। (ফাইল ফটো) "অনেকে বলছিলেন আজই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেবেন, কেউ বলছিলেন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেবেন। একটা উত্তেজনা ছিল সবার মধ্যে"। সেদিনের জনসমাবেশে একজন শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সেসময় যিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একজন নেতা। "মানুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা ছিল বিপ্লবের, প্রতিরোধের"- ৪৬ বছর আগের উত্তাল দিনটির স্মৃতিচারণ করে বলছিলেন মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন, মানুষের এতটাই ভিড় ছিল যে বেলা বারোটার দিকে বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে গিয়ে তারা উপস্থিত হলেও মাঠের একেবারে এক প্রান্তে শেষ পর্যন্ত জায়গা পেয়েছিলেন তিনি ও তাঁর সাথের লোকজন। এর আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল পুরো ময়দান। '৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর যে বিপ্লবী রূপ ছিল তা আগে পাইনি' ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য মুজিব যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম "একজন যুবক আমরা স্বাধীনতার কথা বলছি, দেশ স্বাধীন হবার দ্বারপ্রান্তে। এটা যে কী ধরণের একটা অনুভূতি সেটা বলে বোঝানো কঠিন" - বলছিলেন মাহফুজ আনাম। "যারা আশা করছিলেন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেবেন, সেই ধরণের বাক্যচয়ন না হলেও, উনার বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষণার আর বাকীটা কী রইলো"। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে সেই মুহূর্তে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বলে মনে করেন মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন- "কিছুটা অস্পষ্টতা রেখে দিয়ে রাজনৈতিক কৌশলের একটি নিপুণ উদাহরণ হিসেবে আমি ঐ বক্তব্যটাকে মনে করি"।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান - যে ভাষণকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রথম আহ্বান বলে অভিহিত করেন অনেকেই।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
যে কোন স্তরের ক্রিকেটে কোন বিশ্বকাপ জেতা বাংলাদেশের জন্যে এটাই প্রথম। তা ছাড়া ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম ক্রিকেটের কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ। আজ রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেছিল ১৭৭ রান। বাংলাদেশ ১৭৮ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামলেও জয় থেকে তারা যখন অল্প দূরে - তখনই বৃষ্টির জন্য খেলা বিঘ্নিত হয়। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জন্য সংশোধিত টার্গেট দাঁড়ায় ১৭০ রান। তখন বাংলাদেশকে আর মাত্র ৭ জন করতে হয় জয়ের জন্য। খেলার ২৩ বল বাকী থাকতেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। অধিনায়ক আকবর আলি করেন ৪৩ রান। তিনি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতের যশভি জয়সওয়ালের উইকেট নেয়ার পর বাংলাদেশের মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের উল্লাস মাঠে বাংলাদেশ সমর্থকদের উল্লাস খেলার শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপের মুখে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং এর মুখে খুব সুবিধে করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৪৭ দশমিক ২ ওভারেই ভারতকে মাঠ ছাড়তে হয় ১৭৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে। মাঠে বসে খেলা দেখেছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিক এহতেশাম সবুজ। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সাফল্য। এর আগে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির জয়ের সাফল্যকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের জয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যালে বেশ দুর্দান্তভাবেই শুরু করেছিল, বাংলাদেশের বোলাররা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ডমিনেট করে খেলেছে। তবে ব্যাটিং এ বাংলাদেশের কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছিল যখন ৪টি উইকেট পড়ে যায়। বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ দল ভারতে হারিয়ে এখন বিশ্বসেরা এহতেশাম সবুজ বলেন, বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৯ দলকে 'সোনালি প্রজন্ম' বলে বর্ণনা করা হয়। এদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে এখন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এই দলটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের ডিটারিমিনেশন- তারা সবসময় লক্ষ্যে অবিচল ছিল। চারটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও মনোবল ধরে রাখা সহজ নয়। "এরকম পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলও বেরিয়ে আসতে পারেনি। কিন্তু এখানে বলতেই হবে অধিনায়ক আকবর আলি দুর্দান্ত পরিকল্পনা এবং কৌশল দেখিয়েছেন। আরও ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও তিনি পুরো দায়িত্ব নিয়ে একাই খেলে গেছেন।"
অনুর্ধ্ব ১৯ যুব বিশ্বকাপের ফাইন্যালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ই ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী থানার ওই বাড়িটিতে ডাকাতদল হামলা করে চার মহিলাকে ধর্ষণ করে। চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-কমিশনার হারুন-উর রশিদ আজ সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মামলা না নেবার ক্ষেত্রে তার ভাষায় 'তাদের আংশিক ব্যর্থতা' ছিল। এ ঘটনা স্থানীয় লোকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং তারা ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও-এর কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ই ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী থানার ওই বাড়িটিতে ডাকাতদল হামলা করে চার মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরদিন স্থানীয় একজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ হাজারি বিবিসিকে বলেছেন, তিনজন মহিলা তাদের শাশুড়িকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। তারা কড়া ধর্মীয় অনুশাসন মনে চলেন। ফলে বাড়িতে পুরুষ মানুষের তেমন একটা যাওয়া আসা নেই। তিনি বলেন, ধর্ষিতা ওই মহিলারা তাকে জানিয়েছেন যে তাদের স্বামীরা তিন ভাই। তারা দুবাই-এ থাকেন। স্বামীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই তারা থানায় মামলা করতে এসেছিলেন। ভারতীয় সৈন্যরা যেভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের খ্রিস্টানরা কিভাবে পালন করছেন বড়দিন নারীদের নিয়ে জাপানে উত্তর কোরিয়া ফ্যান ক্লাব এছাড়াও মামলাটি কোন থানায় করা যাবে সেটা নিয়েও দ্বিধা দ্বন্ধ ছিলো বলে তিনি জানান। ধর্ষণের মতো একটি ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, "অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। তবে প্রথমে আমরা চেষ্টা করছি ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে।" তিনি জানান, মোট চারজন আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে স্থানীয় লোকজন এবং নারী অধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছেন, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। অযথা সেখানে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। পুলিশের গাফিলতির কারণে মামলাটি দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি এখনই তৈরি হয়ে গেছে কীনা জানতে চাইলে পুলিশের কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ বলেন, তিনি ধর্ষিতা মহিলাদের সাথে কথা বলেছেন। "তারা বলেছেন ঘটনা ঘটেছে রাতে। পরের দিন সকালে তারা গোছল করে ফেলেছে। এবং যেসব কাপড় চোপড় তারা পরেছিলেন সেগুলো যে সংরক্ষণ করে রাখার দরকার ছিলো সেটাও তারা জানতেন না।" তারপরেও তিনি আশা করছেন পারিপার্শ্বিক অবস্থার মাধ্যমে এই অপরাধের বিচার করা সম্ভব।
বাংলাদেশে চট্টগ্রামের একই বাড়ির চার মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনার মামলা নিতে সেখানকার থানা গড়িমসি করেছে বলে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এই প্রপাগান্ডা লাইব্রেরিতে আছে হাজার হাজার দলিল, ছবি এবং ভিডিও এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আছে ৯০ হাজারের বেশি আইটেম। প্রতিমাসে প্রায় ১০,০০০ মানুষ এই ডিজিটাল লাইব্রেরির সাইটে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটে যেন ক্রমাগত চরমপন্থী মতাদর্শের নানা বিষয় দেয়া যায়, এই লাইব্রেরি যেন সেই উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। কিন্তু এই লাইব্রেরিটি বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ এর তথ্য কোন একটি জায়গায় সংরক্ষিত নয়। ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী কর্তৃপক্ষকে এই অনলাইন লাইব্রেরির ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও এটির কলেবর বেড়েই চলেছে। দু'হাজার উনিশ সালের অক্টোবরে ইসলামিক স্টেটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদী নিহত হওয়ার পর প্রথম এই লাইব্রেরির খোঁজ পাওয়া যায়। তখন ইসলামিক স্টেটের সমর্থনে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের নীচে এটির লিংক দেয়া থাকতো। এর ভিত্তিতেই গবেষকরা এই লাইব্রেরির সন্ধান পান। সেখানে নয়টি বিভিন্ন ভাষায় অনেক দলিল এবং ভিডিও রাখা ছিল। ২০০৫ সালে লন্ডনে বোমা হামলার বিষয়ে একটি গ্রাফিক চিত্র এর মধ্যে ছিল অনেক সন্ত্রাসবাদী হামলার বিস্তারিত তথ্য। যেমন, ২০১৭ সালের ২২শে মে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় হামলা, ২০০৫ সালের ৭ই জুলাই লন্ডনে হামলা এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনা। আইএসডির ডেপুটি ডিরেক্টর মোস্তাফা আইয়াদ, যিনি এই লাইব্রেরির সন্ধান পান, তিনি বলেন, "একটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার জন্য যেসব বিষয় জানা দরকার, তার সবই সেখানে আছে। কীভাবে একজন ভালো সন্ত্রাসবাদী হতে হবে, তা শেখানোর সব কিছুই সেখানে আছে।" আইএসডি এই লাইব্রেরির নাম দেয় 'ক্যালিফেট ক্যাশে' বা খেলাফতের গুপ্ত ভান্ডার। আইএসডির গবেষকরা কয়েকমাস ধরে এটির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা বোঝার চেষ্টা করেছেন কিভাবে এটি তৈরি হয়েছে, কারা কীভাবে এটি চালায় এবং কারা এই সাইটে আসে। এই লাইব্রেরির তথ্য একটি কম্পিউটার সার্ভারে রাখা হয়নি। সব তথ্য ছড়ানো আছে এক বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থায়। যে কেউ অনলাইনে এগুলো শেয়ার করতে পারে বিভিন্ন জায়গায় রাখা সার্ভারের মাধ্যমে। যার ফলে এই সাইটটি বন্ধ করা সহজ নয়। এই অনলাইন তথ্যভান্ডারের সংগ্রহ বেড়েই চলেছে ইসলামিক স্টেটের এই তথ্য ভান্ডার যতক্ষণ অনলাইনে আছে, ততক্ষণ তার নতুন নুতন জিনিস দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। পপ সঙ্গীত তারকা ইসলামিক স্টেটের এসব বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট পেজেও যুক্ত করা হয়। বট একাউন্টের (স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম) মাধ্যমে এগুলি ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাদের আরেকটি কৌশল হচ্ছে সেলিব্রেটি এবং নামকরা অ্যাথলীটদের টুইটার একাউন্ট টার্গেট করা। আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট আইএস'এর বিদেশি যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে কারা? ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঘটছে ইরাকে? যেমন পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের একাউন্ট হাইজ্যাক করে ইসলামিক স্টেট। এরপর তারা এই একাউন্ট ব্যবহার করে তাদের লাইব্রেরির জিনিসপত্র প্রচার করে। আরেক ঘটনায় ইসলামিক স্টেট এমন এক একাউন্ট তৈরি করে যেটি মনে হচ্ছে যেন ইংলিশ রাগবি দলের এক সমর্থকের একাউন্ট। এরপর তারা ইংলিশ রাগবি টিমের একাউন্টকে তাদের একাউন্টের ফলোয়ার বানাতে সক্ষম হয়। তবে ইসলামিক স্টেটের লাইব্রেরির সব জিনিস যে সহিংসতায় ভরা তা নয়। সেখানে ইসলামিক স্টেটের দর্শন, ধর্মীয় নানা বই আছে। ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি দেখতে কেমন হবে, তার প্রপাগান্ডামূলক অনেক বিষয়ও রাখা আছে। গবেষকরা বলছেন, শামীমা বেগমের মতো যেসব মেয়ে পালিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গীদের বধু হয়েছে. তারা হয়তো এসব দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের টুইটার একাউন্ট হ্যাক করে এই ভিডিও পোস্ট করা হয় তবে ইসলামিক স্টেটের এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে যারা আকৃষ্ট হয়েছে তাদের বেশিরভাগ আসলে ১৮-২৪ বছর বয়সী আরব পুরুষ। এই সাইটে বেশিরভাগ ট্রাফিক এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, বিশেষ করে ইউটিউব থেকে। আইএসডি তাদের গবেষণায় দেখেছে, ইসলামিক স্টেটের এরকম গোপন তথ্যভান্ডার অভিনব কিছু নয়। অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরমপন্থী গোষ্ঠীরও একই ধরণের ছোট ছোট তথ্য ভান্ডার আছে। এরাও বিকেন্দ্রীকৃত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এর জন্যে। গবেষকরা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকেও তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং স্পেশালিস্ট অফিসাররা এখন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছেন।
'ইসলামিক স্টেট‌' গোষ্ঠিটির এক বিশাল অনলাইন লাইব্রেরির সন্ধান মিলেছে যেখানে তাদের চরমপন্থী মতাদর্শের বহু জিনিস রাখা আছে। ইনস্টিটিউট অব স্ট্রাটেজিক ডায়ালগ (আইএসডি) নামের একটি গবেষণা সংস্থার গবেষকরা এই ডিজিটাল লাইব্রেরির সন্ধান পেয়েছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
দ্বিতীয় টি টুয়েন্টির একটি মুহূর্তের বাংলাদেশের তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান ফলে তিন ম্যাচের এই সিরিজে সমতায় ফিরলো সফরকারীরা। ফ্লোরিডার লডারহিল স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করতে পেরেছে ১৫৯ রান। পাঁচটি টি টুয়েন্টি ম্যাচে টানা হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো টাইগাররা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ড্রোন বোমা থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের রক্ষা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে ‘সুজন’ সম্পাদকের বাড়িতে হামলা দ্বিতীয় টি টুয়েন্টিতে একটি ক্যাচ ধরার চেষ্টা করছেন অ্যাশলে নার্স ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল ৪৪ বলে ৭৪ রান আর সাকিব তুলেছেন ৩৮ বলে ৬০ রান। চতুর্থ উইকেটে এই দুই বাঁহাতির ৫০ বলে ৯০ রানের জুটিতেই ১৭১ রানের স্কোর দাঁড়া করে বাংলাদেশ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অর্ধশতকের ঘর পার হতে পারেননি কেউই। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান আর নাজমুল ইসলাম অপু। সোমবার ভোরে তৃতীয় টি টুয়েন্টিতে চূড়ান্ত হবে সিরিজের ভাগ্য। এই সফরের শুরুতে দু''টি টেস্টে হারলেও, ওয়ানডে সিরিজ ২-১ এ জিতেছে বাংলাদেশ।
ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি টুয়েন্টিতে ১২ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে জেনারেল এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে অনেক ব্যবহারকারী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। আবার অনেক ব্যবহারকারী তাঁর শাসনামলে নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফেসবুক ব্যবহারকারী অজন্তা দেব রায়, জেনারেল এরশাদকে নিয়ে হুমায়ূন আজাদের একটি লেখার অংশ বিশেষ তুলে ধরেছেন যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ উঠে এসেছে। এরআগে দেয়া এক পোস্টে মিজ রায় বলেছেন, "যেকোন মৃত্যুই বেদনার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু মানুষের মৃত্যুতে শোকবার্তায় ভালো ভালো কথা বলা যায় না। মন থেকে বলা যায় না- তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।" আলতাফ পারভেজ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার পোস্টে এরশাদের শাসনামল সম্পর্কে বলেন, "বিশ্বে আজও 'এরশাদ'দের অভাব পড়ছে না। দক্ষিণ এশিয়ায় তো নয়ই। কারণ স্বৈরতন্ত্র এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে নাগরিক সমাজ হিসেবে আমাদের বোঝাপড়ায় প্রবল ঘাটতি আছে।" নিজের পোস্টে তিনি আরো বলেন, "তার মৃত্যু হয়েছে বলে তাকে নিয়ে ভালো কথা বলার কিছু নাই। আশা করি রংপুরের একঘেয়ে রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন আসবে।" যদিও কোন কোন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এরশাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, যাদের একটি বড় অংশ বয়সে তরুণ। বিবিসি বাংলার পোস্টের এক কমেন্টে ফেসবুক ব্যবহারকারী মামুন কবি বলেছেন, "আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন আমিন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনেক সরকারের চেয়ে উনার সরকার ছিল তুলনামূলক অনেক ভালো। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। " আরেক ব্যবহারকারী এমডি শাহিন ইসলাম বলেছেন, "উনি ভালো কাজ করেছেন অনেক। কিন্তু তার শেষ বেলায় জনগণের চাওয়া-পাওয়ার কোন মূল্য না দিয়ে তার নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন, তার কোন দাম তিনি পাননি, বরঞ্চ রাজনীতিকভাবে দেশকে এক চরম অশান্তিতে রেখে গেছেন।" জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের একটি বড় অংশই এসেছে যারা তার শাসনামল দেখেছেন তাদের কাছ থেকে। জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য আসার পেছনে তাঁর শাসনামলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা কাজ করেছে বলে মনে করছেন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরো পড়তে পারেন: এরশাদের সফলতা এবং বিতর্কের নানা দিক এরশাদের অবর্তমানে জাপা ‘বিলুপ্ত হতে পারে’ জেনারেল থেকে রাজনীতিক এরশাদের উত্থান যেভাবে ইমেরিটাস অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, "তিনি(এরশাদ) যে ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তখন মানুষের মতামত প্রকাশের সুযোগ ছিলো না। দ্বিতীয়ত, তিনি যখন রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তখনও তার বিরুদ্ধে বলার কোন সুযোগ ছিলো না কারণ তিনি ক্ষমতাধরদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ছিলেন। মানুষ তার শাসনে খুবই বিক্ষুব্ধ। যার কারণে তার মৃত্যুর পর মানুষ এগুলো বলছে।" তিনি বলেন, "নানা হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার সন্দেহ আছে এবং মামলাও হয়েছে। মঞ্জুর হত্যার কোন রায় হলো না, তদন্ত ও পুনঃতদন্ত হতে থাকলো। এতে মানুষ হতাশ হয়েছে। তার এধরণের রহস্যজনক কাজগুলো উন্মোচিত হয়নি। মানুষের মনে একটা ভীষণ রকমের অস্বস্তি রয়েছে যে এই মামলাগুলোর কোন বিচার হয়নি।" এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সামিনা লুতফা বিবিসি বাংলাকে বলেন, বর্তমান প্রজন্মের যারা এরশাদের শাসনামল দেখেনি তারা যাতে সে সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ভুলে না যান তা মনে করিয়ে দেয়াকে অনেকে দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছেন। তিনি এই প্রতিক্রিয়াকে নেতিবাচক বলছেন না। তার মতে, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তাদের অনেকেরই তারুণ্য কেটেছে এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। যাদের স্মৃতিতে বিষয়টা তাজা আছে। তাই তারা নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাইছেন।" এইচ এম এরশাদ তিনি বলেন, "এরশাদ তো কবি সাহিত্যিক ছিলেন না যে তার কবিতা গল্প নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের সাবেক সেনানায়ক ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার আমলের বিষয়গুলোই আসবে সেটাই স্বাভাবিক।" তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা কেন তার মৃত্যুর সময়টাকেই বেছে নিলেন এমন প্রশ্নে মিজ লুতফা বলেন, "মৃত্যুর পর মানুষের কৃতকর্মের একটা সালতামামি হয়। স্বাভাবিকভাবে তার ভালো দিকগুলো তুলে ধরা হলেও যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকেন তাদের নেতিবাচক কাজকর্মের দিকে লোকের নজর থাকে। আর আমরা তো জানি যে, আমরা জানি, তার শাসনামলে দীপালি, জয়নাল, ডক্টর মিলন, নূর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।" তিনি বলেন, "আমি মনে করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেহেতু নেটিজেনদের এক ধরণের জানালা, তাই তারা যে কথাটি এতোদিন ব্যঙ্গ বিদ্রূপের মধ্য দিয়ে বলেছে সেটি সরাসরি বলতে তারা যেন তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলো।" তবে একে বর্তমান রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। বলেন, "মানুষের কাছ থেকে তার গত ১০ বছরে রাজনীতিতে থাকার বিশ্লেষণ আসবে, তার রাজনৈতিক চালের বিশ্লেষণ আসবে যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বেশি ইতিবাচক হবে ভবিষ্যতে।"
বাংলাদেশের সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এর ব্যবহারকারীরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বনশ্রীর একটি ফলের দোকান বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে গাছ থেকে পাকা আম নামানোর যে ক্যালেন্ডার ঠিক করেছে সরকার - তাতে ১৫ই মে থেকে গুটি আম, আর ২০শে মে শুরু হয়েছে গোপালভোগ নামানো। এরপর জুলাই এবং আগস্ট পর্যন্ত ধাপে ধাপে আসবে লক্ষ্মণভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি জাতের আম নামানোর পালা। কিন্তু ক্রেতারা আমের এ ক্যালেন্ডার সম্পর্কে কতটা সচেতন, কিংবা বাজারের আম কেনা নিয়ে তাদের মনোভাবই বা কেমন ? জবাবে বনশ্রীর অধিবাসী সায়মা হক বলেন, "আমার প্রিয় ফল আম। এখন আমের মৌসুম। কিন্তু ভয়ে থাকি যে আম ফরমালিন দেয়া কিনা বা গাছ থেকে পাড়া ভালো আম কি-না"। গাছ থেকে আম পাড়ার ক্যালেন্ডার ঠিক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ তিনি বলেন, ক্যালেন্ডার ঠিক করলেও তার মনে হয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ঔষধ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করেনি। একই এলাকার নীলুফার আক্তারও জানালেন তার উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার কথা। তিনি বলেন, "পত্রিকায় দেখি মেডিসিন দেয়া। বুঝতে পারিনা যে কোন ফল খাবো। এসব নিয়ে ভয়ে থাকি"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোন মৌসুমে কোন আম খাবেন? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগ করছেন মোদীর জয় বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়: রওনক মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই আমে ক্ষতিকর ঔষধ মেশানো নিয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বেশ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবারও চারশো মণ আম ধ্বংস করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঔষধ ব্যবহার করে পাকানোর কারণে। তবে ওই এলাকার একজন ফল বিক্রেতা কালু মিয়া বলছেন, আমের বিষয়ে তারাও এখন অনেক সতর্ক, এমনকি বিপদ এড়াতে বাগান থেকে সরাসরি আম সংগ্রহের প্রবণতাও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাড়ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশী আম কিনে ক্রেতাদের এখন আর প্রতারিত হবার সুযোগ নেই। বিক্রেতাদের এসব কথায় কতটা আস্থা ক্রেতাদের ? টেলিকম কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী বলছেন, শুধু আম নয় - মৌসুমি ফল কেনার ক্ষেত্রে সচেতনতা অনেক বেড়েছে বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, "বিক্রেতারাও এখন জানে যে ঔষধ দিয়ে ঝকঝকে-তকতকে করা আম পছন্দ করেনা। বরং সোর্স অর্থাৎ বাগান থেকে আনা আম যেগুলো কাঁচা, পাকা বা জেনুইন মনে হয় - সেগুলোই আমরা কেনার চেষ্টা করি"। রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকানো ঠেকাতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জবাবে ব্যাংক কর্মকর্তা হাসনাত রেজা বলছেন, ফরমালিনের জন্য এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে মূলত বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই বাজার থেকে ফল কিনতে হয়। "নিজেরা তো বুঝতে পারি না। তাই দোকানদারকেই অনুরোধ করে বলি যে ভাই ফলটা ভালো হলে দেবেন। শুধু খুচরা দোকান নয়, বড় রিটেইল শপগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বাস করা কঠিন"। মিস্টার রেজা বলছেন, আম বাজারে আসার ক্যালেন্ডারের ব্যাপক প্রচার হলে এটি ক্রেতাদের জন্য সঠিক সময়ে বিষমুক্ত আম কেনায় দারুণ সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন জ্যৈষ্ঠ মাস যেটি বাঙালীর কাছে পরিচিত মধুমাস হিসেবে। এ মাসের শুরু থেকেই বাজারে আসে আম, লিচু, জাম, কাঁঠালসহ নানা সুস্বাদু ও রসালো মৌসুমী ফল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল। ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে চালানো এটাই এ ধরনের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা এবং এতে সিরিয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর শীর্ষ একজন কর্মকর্তা টমার বার। সিরিয়-বাহিনী ইসরায়েলি একটি বিমানকে ভূপতিত করার পাল্টা জবাব হিসেবে এই আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সিরিয়ার সেনা ঘাঁটি ছাড়াও সেখানে অবস্থিত ইরানি সেনা-ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বিমান। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়া একটি ইরানি ড্রোনকে গুলি করে ভূপতিত করে সেনারা। এরপর সিরিয় এবং ইরানি সেনা-ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয় ইসরায়েলি বিমান থেকে। এর পাল্টা জবাবে সিরিয় বাহিনী গুলি ছুঁড়লে বিমানটি ইসরায়েলের সীমানার ভেতরে পড়ে যায় । পাল্টা হামলায় দামেস্কের কাছে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সেনা-ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তবে সিরিয়া ও তাদের মিত্র ইরান বলেছে তাদের কোনও ড্রোন ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করেনি। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া এবং দেশটি সব পক্ষকেই ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না কেন শেষ হচ্ছে না সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত? জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ
সিরিয়ার বিমান ঘাঁটির ওপর গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির একটি যুদ্ধবিমানকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ভূপতিত করার পর ওই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কুষ্ঠ রোগীর সাথে মেলামেশা করতে চায় না লোকে এ রোগে আক্রান্ত হলে কেবল শারীরিক যন্ত্রণাই নয়, মানসিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশির ভাগ মানুষকে। যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে কুষ্ঠ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। বাংলাদেশে কুষ্ঠরোগ নিয়ে কাজ করা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বেশির ভাগ সময় একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা। তার আগে চর্মরোগ এবং স্নায়ুর সমস্যা হিসেবে চিকিৎসা করাতে গিয়েও দেরী করেন অনেকে, ফলে আক্রান্তদের ভোগান্তি হয় অনেক বেশি। 'একটি পা কাটা গেছে আমার' নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার কুষ্ঠ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন এই নারী, যিনি জানিয়েছেন ছয় বছর আগে তার এই রোগ ধরা পড়ে। সংগত কারণেই তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, যখন চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান ততদিনে তার পুরো পায়ে পচন ধরেছিল। "আমার শুরুতে হাতে-পায়ে দাগ ছিল। আস্তে আস্তে হাত ও পায়ের আঙুল বাঁকা হয়ে যেতে থাকলো। বাড়ির লোকে কেউ বুঝতে পারেনি। পরে ওইসব জায়গায় ঘা হয়ে গেল, তখন ডাক্তারের কাছে গেলাম, ডাক্তার বললো অনেক দেরি হয়ে গেছে।" এরপর হাসপাতালে ভর্তি হলে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। গত ছয় বছর যাবত তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও আগের তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে তার। তিনি জানিয়েছেন, তার ছোট বোনেরও যখন কুষ্ঠ হয়, তখন তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কারণে দ্রুত শনাক্ত করতে পেরেছেন। "যে কারণে ওর চিকিৎসা আমার চেয়ে ভালো হইছে, ও প্রায় সুস্থ হয়ে গেছে।" 'লোকে ঘেন্না করে, চাপকল থেকে পানি নিতে দেয় না' চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কুষ্ঠ একটি জীবাণুবাহিত সংক্রামক ব্যাধি। আক্রান্ত হলে ত্বকে ক্ষত, স্নায়বিক ক্ষয় বা অনুভূতি শূন্যতা এবং দুর্বলতা বা শরীরে অসাড়তা বোধ হতে পারে। এতে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না নিলে ত্বকে পচন ধরে, কোন ক্ষেত্রে ক্ষতস্থান কেটে ফেলতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করা গেলে এটি নিরাময়যোগ্য রোগ কিন্তু শারীরিক ভোগান্তির সাথে সাথে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আক্রান্ত রোগীকে ব্যাপকভাবে মানসিক এবং সামাজিক নিগ্রহের শিকারও হতে হয়। কুষ্টিয়ার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ আরেকজন নারী কুষ্ঠ রোগী বিবিসিকে বলছিলেন, সাত বছর বয়সে তার এই রোগ ধরা পড়ে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পরিবারের বাইরে চারপাশের মানুষের কাছ থেকে তিনি অবজ্ঞা আর অবহেলা পেয়ে এসেছেন। "আমি এতদিন পর্যন্ত বিয়ে বসিনি এই কারণে। পরিবারের লোকেরা হয়ত ঘেন্না করেনা। কিন্তু আশেপাশের সব লোকে ঘেন্না করে, দেশ-গ্রামে চাপকল থেকে পানি নিতে দেয় না। সবাই যে পুকুরে গোসল করে সেখানে নামতে দেয় না আমাকে, বাড়ির বাইরে কেউ তাদের টয়লেটে যেতে দেয় না।" বাংলাদেশ পরিস্থিতি কুষ্ঠ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগগুলোর একটি হলেও, দেশে এখনো এ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগীর হার প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের নিচে নামিয়ে আনা। সেই বিচারে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। কিন্তু সরকারের সাথে কাজ করে এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এখনো প্রতিবছর প্রায় চার হাজার মানুষ নতুন করে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়। সংস্থাটি বলছে, ২০১৯ সালে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সারাদেশে ৩২০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। কুষ্ঠ নির্মূল কেন করা যাচ্ছে না? বাংলাদেশে সরকার বিনামূলে কুষ্ঠ রোগ শনাক্ত এবং চিকিৎসার কাজ করে থাকে। কিন্তু লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুমা পারভীন বলছেন, রোগী শনাক্ত করা এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাই চ্যালেঞ্জের কাজ। আরো পড়তে পারেন: রোগ প্রতিষেধক টিকা নিয়ে কেন এত শঙ্কা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায় অ্যান্টিবায়োটিক যেসব কারণে রোগ সারাতে পারছেনা ভরপেট খাওয়া বাংলাদেশিরাও কেন অপুষ্টির শিকার "সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত করা। কারণ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকবল খুবই কম। প্রতি উপজেলায় মাত্র একজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকেন, যিনি যক্ষ্মা এবং কুষ্ঠ - এই দুই রোগের জন্য কাজ করেন। "ফলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রোগী খুঁজে বের করা একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।" তিনি আরো বলছেন, "দ্বিতীয় সমস্যা হলো, ধরুন একজনের রোগ শনাক্ত হলো, তার রেজিস্ট্রেশন হলো। এখন সেই রেজিস্ট্রেশনের তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পাঠানোর পর তার নামে ওষুধ পাঠানো হবে। এতে যে সময় লাগে এর মধ্যে অনেক রোগী ঝরে যায়। আবার একই সঙ্গে ঢাকা থেকে দ্রুত পাঠাতে হলে কুরিয়ার করতে হয়, তত অর্থ বরাদ্দ সব সময় থাকে না।" মিজ পারভীন বলছেন, এছাড়া বাংলাদেশে কুষ্ঠরোগীদের জন্য এই মূহুর্তে মাত্র তিনটি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। যে কারণে এ রোগ নির্মূলে এখন স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো এবং রোগ শনাক্তে সরকারের অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই মূহুর্তে লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল ছাড়া আরো সাতটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কুষ্ঠ প্রতিরোধে কাজ করছে। প্রতিকারের কী উপায়? কুষ্ঠ আক্রান্ত হলে তা থেকে প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জাতীয় কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামলী সাহা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে কুষ্ঠ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। "প্রথম ব্যাপার হচ্ছে দ্রুত যাতে রোগ শনাক্ত করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু না করলে কুষ্ঠ রোগ সংক্রামক হতে পারে, যে কারণে কেবল সচেতনতাই পারে একজন মানুষকে বাঁচাতে।" "যেহেতু এই রোগের জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, সে কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের মধ্যে এর সংক্রমণ হতে পারে। আমরা দেখেছি বেশির ভাগ সময় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি। " ডা সাহা জানিয়েছেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে শারীরিক সক্ষমতা হারায় মানুষ, ফলে তখন তার জীবিকা নির্বাহ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া চিকিৎসার পাশাপাশি যে যত্ন নেয়া প্রয়োজন, অর্থাৎ রোগীর বিশ্রাম প্রয়োজন সেটি বেশির সময় পান না একজন কুষ্ঠরোগী। এছাড়া একটু ভালো হলে অনেক রোগী ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু পুরো মেয়াদে নিয়মিত ওষুধ খেলেই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। আরো পড়তে পারেন: 'আমার ছেলেমেয়েদের কাছে বাবা মানে একটা গল্প' গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি গণহত্যার স্বীকৃতি দিন: সু চি'র উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ীরা ১৫ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে ৫০ বছর কাটালেন
বাংলাদেশে এখনো বছরে নতুন করে প্রায় চার হাজার মানুষ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয় বলে বলছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
'ঘুমটা হঠাৎ ভেঙ্গে যায়। মনে হয় যে আমার কোন শক্তি নেই'। "ঘুমটা হঠাৎ ভেঙ্গে যায়। মনে হয় যে আমার কোন শক্তি নেই। নিজের হাত পা নাড়ানোর মতো, মুখে আওয়াজ করার মতো শক্তিটাও পাইনা। অনেক চেষ্টা করলে গোঙানির মতো শব্দ হয়।" "মনে হয় যেন এই বোধহয় দম আটকে মারা যাব। মাত্র কয়েক সেকেন্ড এই অবস্থাটা লাস্ট করে। কিন্তু তাতেই মনে হয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এতো ভয়ংকর, ওই সময়টা। যার না হয় সে কখনোই বুঝবেনা।" বলেন মিস ইয়াসমিন। এমন অভিজ্ঞতার কথা আমাদের আশেপাশে আরও অনেকের কাছ থেকে শোনা যায়। যাকে অনেকে "বোবায় ধরা" বলে থাকেন। বোবায় ধরা কী? চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় স্লিপ প্যারালাইসিস, বা ঘুমের মধ্যে পক্ষাঘাত। স্লিপ প্যারালাইসিস হলে একজন ব্যক্তি কিছু সময়ের জন্য কথা বলা বা নাড়াচাড়া করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এটি সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে ওই সময়টায় রোগী ভীষণ ঘাবড়ে যান, ভয় পেয়ে যান। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সামান্থা আফরিনের মতে, বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস হল গভীর ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি একটি স্নায়ুজনিত সমস্যা। ঘুমের ওই পর্যায়টিকে বলা হয় র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট-রেম। রেম হল ঘুমের এমন একটি পর্যায় যখন মস্তিষ্ক খুব সক্রিয় থাকে এবং এই পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু সে সময় শরীরের আর কোন পেশী কোন কাজ করেনা। এ কারণে এসময় মস্তিষ্ক সচল থাকলেও শরীরকে অসাড় মনে হয়। স্লিপ প্যারালাইসিস তরুণ-তরুণী এবং কিশোর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বোবায় ধরা কাদের হয়, কেন হয়? স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। এই পরিস্থিতি যে কারও সঙ্গে যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা বা এনএইএস-এর তথ্য মতে তরুণ-তরুণী এবং কিশোর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার পেছনে কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছে তারা। ১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা ছেড়ে ছেড়ে ঘুম হওয়া। অসময়ে ঘুমানো। অনেক সময় কাজের সময় নির্দিষ্ট না হলে, অথবা দূরে কোথাও ভ্রমনে গেলে এমন ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ২. মাদকাসক্ত হলে অথবা নিয়মিত ধূমপান ও মদপান করলে। ৩. পরিবারে কারও স্লিপ প্যারালাইসিস হয়ে থাকলে। ৪. সোশ্যাল অ্যাঙ্কজাইটি বা প্যানিক ডিসঅর্ডার বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা থাকলে। বোবায় ধরার লক্ষণ: ডা. সামান্থা আফরিনের মতে এবং ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্লিপ পারালাইসিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হল: ১. বড় করে নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। মনে হবে যেন বুকের মধ্যে কিছু চাপ দিয়ে আছে। দম বেরোচ্ছেনা। ২. অনেকের চোখ খুলতে এমনকি চোখ নাড়াচাড়া করতেও সমস্যা হয়। ৩. অনেকের মনে হয় যে কোন ব্যক্তি বা বস্তু তাদের আশেপাশে আছে, যারা তার বড় ধরণের ক্ষতি করতে চায়। ৪. ভীষণ ভয় হয়। শরীর ঘেমে যায়। ৫. হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। অনেকের রক্তচাপও বাড়তে পারে। ৬. পুরো বিষয়টা কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। প্রভাবটি কেটে গেলে আগের মতো কথা বলা বা নড়াচড়া করায় কোন সমস্যা থাকেনা। তারপরও অনেকে অস্থির বোধ করেন এবং পুনরায় ঘুমাতে যেতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রোগীর ঘুম পরীক্ষা করছেন একজন বিশেষজ্ঞ। আরো পড়তে পারেন: এর চিকিৎসা: স্লিপ প্যারালাইসিস আসলে গুরুতর কোনও রোগ নয়। মাঝে মাঝে নিজে থেকেই ভাল হয়ে যায়। মনকে চাপমুক্ত রাখার পাশাপাশি ঘুমানোর অভ্যাসে ও পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সাধারণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন: ১. রাতে অন্তত ৬ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা। এবং সেই ঘুম যেন গভীর হয়। ২. প্রতিদিন রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠার অভ্যাস করা। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও। ৩. ঘুমের জন্য শোবার ঘরটিতে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। যেন সেই ঘরে কোলাহল না থাকে, ঘরটি অন্ধকার থাকে এবং তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় থাকে, খুব বেশি না আবার কমও না। সম্ভব হলে ঘরে ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধি ছিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। ৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ভারী খাবার সেইসঙ্গে ধূমপান, মদ পান এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৫. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত চার ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করার চেষ্টা করা। ৬. ঘুমের সময় হাতের কাছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ অর্থাৎ ঘুমের বাঁধা হতে পারে এমন কোন বস্তু রাখা যাবেনা। ৭. দিনের বেলা দীর্ঘসময় ঘুম থেকে বিরত থাকতে হবে। ৮. স্লিপ প্যারালাইসিস হলে নিজের মনকে প্রবোধ দিতে হবে যে ভয়ের কিছু নেই, এই পরিস্থিতি সাময়িক, কিছুক্ষণ পর এমনই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই সময়ে শরীর নাড়াচাড়া করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে: এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি কারও বাড়াবাড়ি রকমের স্লিপ প্যারালাইসিস হয় অর্থাৎ আপনার ঘুমে নিয়মিতভাবে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কেননা স্লিপ প্যারালাইসিস ঘন ঘন হলে উদ্বিগ্নতার কারণে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বা কমে যায়, যা বড় ধরণের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসক রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক সময় তারা কম থেকে বেশি মাত্রার অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। স্লিপ প্যারালাইসিস চিকিৎসা পদ্ধতি: নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা মূলত ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তারা ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাম-ইএমজি পরীক্ষা করে থাকেন। এখানে মূলত মাংসপেশির ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটির মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। যেটা কিনা স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় অনেক কমে যায়। রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে স্লিপ প্যারালাইসিসে আক্রান্তদের অনেকেরই দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব হয়। সেসময় চিকিৎসকরা রোগীর এই দিনের বেলার ঘুম পরীক্ষা করে থাকেন। যাকে বলা হয় ডে-টাইম ন্যাপ স্টাডি এবং এর পরীক্ষাটিকে বলা হয় মাল্টিপল স্লিপ ল্যাটেন্সি টেস্ট। স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় মস্তিষ্ক জেগে উঠলেও শরীর তখনও শিথিল থাকে। এর কারণ হিসেবে কানাডার দুই গবেষক জানিয়েছেন যে মস্তিষ্কে দুই ধরণের রাসায়নিক বা অ্যামাইনো অ্যাসিডের নি:সরণের কারণে মাংসপেশি অসাড় হয়ে পড়ে। রাসায়নিক দুটি হল, গ্লাইসিন এবং গামা অ্যামাইনোবিউটিরিক অ্যাসিড-গ্যাবা। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী প্যাট্রিসিয়া এল ব্রুকস এবং জন এইচ পিভার, পিএইচডি একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে নিউরোট্রান্সমিটার গ্যাবা এবং গ্লাইসিন মস্তিষ্কে পেশী সক্রিয় রাখার কোষগুলোকে "সুইচ অফ" করে দেয়। বিবিসি নিউজ বাংলার স্বাস্থ্য সিরিজের এটি প্রথম পর্ব। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরো প্রতিবেদনের জন্য চোখ রাখুন বিবিসি বাংলার অনলাইন পাতায়- অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান কী মাংসপেশিতে টান পড়লে কী করবেন
ফারজানা ইয়াসমিনের বয়স ত্রিশের কোঠায়। প্রায় রাতেই তিনি গভীর ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তার মনে হয় শরীরের ওপর যেন ভারী কিছু চাপ দিয়ে আছে, সেটা এতোটাই ভারী যে তিনি নিশ্বাস নিতে পারেননা। এমনকি পাশে কেউ থাকলে তাকেও ডাকতে পারেন না।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ন্যায় বিচারের দাবী: নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ। র‍্যাবের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান জানান, র‍্যাবের পক্ষ থেকে অনলাইন মনিটরিং-এর জন্য একটি সেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তারা দেখতে পেয়েছেন, ফেসবুকে বিভিন্ন সময় নারী মডেল, সেলিব্রেটি ও লেখকের পোস্টে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। বর্তমানে যারা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন করছেন তাদের নিয়েও বেশ কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অনলাইনে নারীদের এভাবে ধর্ষণের হুমকি দেয়া, আক্রমণাত্মক বা অপমানজনক মন্তব্য করা বা কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়ার নজির হরহামেশাই শোনা যায়। বিশেষ করে কোনো ফেসবুক গ্রুপে বা পেইজে অথবা সংবাদমাধ্যমগুলোর পোস্টে কোনো নারীর কমেন্টের বিপরীতে প্রায়ই এধরনের মন্তব্য চোখে পড়ে। দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে এবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেন না। তবে আইনজীবীরা বলছেন, অনলাইনে এ ধরনের হুমকি এবং হয়রানির ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ীও অভিযোগ করার বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ফেসবুক পোস্টে 'ধর্ষণে উস্কানি' দেয়ার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার এডিটার'স মেইলবক্স: ধর্ষণ নিয়ে ক্ষোভ, ক্রসফায়ার নিয়ে বিতর্ক আর রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্ন মৃত্যুদণ্ডের আইন কি বাংলাদেশে ধর্ষণ বন্ধের সমাধান? ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইন যা রয়েছে একজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে আরও কয়েকটি আইডি শনাক্ত করেছে র‍্যাব। কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব? অনলাইনে এধরনের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হলে তথ্য-প্রমাণসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন আইনজীবী মিতি সানজানা। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের আইনে কাউকে কোনো হুমকি দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত বা অজ্ঞাতসারে অন্য ব্যক্তির জন্য আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক কোনো তথ্য প্রকাশ করেন, অথবা এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেন যা অন্য ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে এবং মিথ্যা জানা সত্বেও অন্যদেরকে অপমান, অপদস্থ, বিরক্ত বা হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য করা হলে তার কারাদণ্ড ও জরিমানা করার বিধান রয়েছে।" আইন অনুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা শাস্তির বিধান রয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে, অর্থাৎ অনলাইনে এই ধরনের কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতে থাকলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে বলে জানান মিতি সানজানা। তিনি বলেন, এরকম ক্ষেত্রে নিকটস্থ থানায় সরাসরি অভিযোগ করে, সাইবার ইউনিটে মেইল করে এবং কাউন্টার টেররিজম বিভাগের 'হ্যালো সিটি' অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ করা সম্ভব। ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বিক্ষোভ ই-মেইল এবং অ্যাপে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজের পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বলে জানান মিতি সানজানা। তবে তিনি বলেন যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগ করা উচিত এবং অভিযোগের পক্ষে কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে রাখা ভালো। "স্ক্রিনশট, লিঙ্ক, অডিও-ভিডিও ফাইল বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ অভিযোগ করা প্রয়োজন। আর স্ক্রিনশটের ক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দেই যেন অ্যাড্রেস বারের ওপর যে ইউআরএল দেখা যায়, সেটিও যেন স্ক্রিনশটে থাকে।" অনলাইনে কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি এধরনের আক্রমণ না করে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করা হলেও আক্রমণকারীকে আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান মিতি সানজানা। "প্রত্যক্ষভাবে না করেও কেউ যদি এমন কোনো মন্তব্য করেন যেখানে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করা হয়েছে, সেক্ষেত্রেও মানহানি হওয়া বা সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত হলে আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।" তিনি জানান, অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো সংবাদমাধ্যম বা পাবলিক প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের মন্তব্য করা হলে ঐ প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষ অথবা যে ব্যক্তির উদ্দেশ্যে মন্তব্য করা হয়েছে, সেই ব্যক্তিরও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রয়েছে।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ধর্ষণে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে শনিবার ঢাকার খিলক্ষেত থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তারা বলছে, ঐ যুবক ছাড়াও আরো কয়েকটি ফেসবুক আইডি তাদের নজরদারিতে আছে যেখান থেকে ধর্ষণের হুমকি বা ধর্ষণকে সমর্থন করে পোস্ট বা কমেন্ট করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইংলিশ চ্যানেলে একটি ছোট নৌকায় করে আসা অভিবাসীদের উদ্ধার করা হচ্ছে গত তিন সপ্তাহে নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে আসার চেষ্টার সময় ১০০-রও বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই আসছে বাতাস-ভরে-ফোলানো ছোট ছোট প্লাস্টিকের নৌকায় করে। এক একটা নৌকায় তিনজন থেকে আট-দশজন করে লোক - যার মধ্যে শিশুও আছে। অনেকে বলেছে, তারা ১২ ঘন্টা ধরে সাগরে ভাসছিল। তারা সবাই দাবি করছে, তারা বেলগ্রেড হয়ে ইরান থেকে এসেছে। কিন্তু ইউরোপের এত জায়গা থাকতে বেলগ্রেড থেকেই ইরানীরা আসছে কেন? এর উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে ১,২০০ মাইল দূরে - সার্বিয়া এবং তার রাজধানী বেলগ্রেডের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীতে। গত বছর আগস্ট মাসে সার্বিয়া ইরানীদেরকে বিনা-ভিসায় সেদেশে আসার অনুমতি দেয়। উদ্দেশ্য ছিল সার্বিয়ায় পর্যটন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি। মনে রাখতে হবে ইরান হচ্ছে পৃথিবীর ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি, এবং সার্বিয়া হচ্ছে ৬০তম। এর পর থেকেই হাজারে হাজারে ইরানী সার্বিয়ার আসতে থাকে, যখন এই ভিসামুক্ত ভ্রমণকে অভিবাসীরা পশ্চিম ইউরোপে ঢোকার একটা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। ২২শে নভেম্বর একটি ফরাসী হেলিকপ্টার একটি নৌকার অভিবাসীদের উদ্ধার করে সার্বিয়ার একটি অভিবাসন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রদান মিওদ্রাগ কাকিচ বলছেন, তার ধারণা - এই ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে সার্বিয়ায় আসা হাজার হাজার ইরানীদের মধ্যে থেকেই অনেকে নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভিসা ছাড়া এভাবে সার্বিয়া আসার সুযোগকে অভিবাসীরা ব্যবহার করছে - এ অভিযোগ ওঠার পর গত ১৭ই অক্টোবর ওই স্কিমাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ততদিনে প্রায় ৪০ হাজার ইরানী সার্বিয়ায় ঢুকে পড়েছে। তাদের কতজন দেশে ফিরে গেছে তা জানা যায় না। কিন্তু এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে তেহরান থেকে বেলগ্রেডে আসার বিমানগুলোতে সব সময় যাত্রী ভরা থাকতো, কিন্তু তেহরান ফিরে যাবার সময় ওই বিমানগুলোই থাকতো প্রায় খালি। বেলগ্রেডের একটি শরণার্থী সহায়তা কেন্দ্র বলছে, বেলগ্রেডের পুলিশের হিসাব মতে দেশে ফিরে যায় নি এমন ইরানীর সংখ্যা ১২ হাজার। অনেক ইরানীই সার্বিয়ায় এসেছে বেলগ্রেড বিমান বন্দর দিয়ে - ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা নিয়ে মি. কাকিচ বলছেন, ইরানীরা সার্বিয়া হয়ে ইউরোপে ঢোকার জন্য ভুয়া পাসপোর্ট সহ বিভিন্ন জটিল পন্থা ব্যবহার করছিল। তারা সার্বিয়া ছেড়ে অন্য কোন গন্তব্যে যাবার জন্য তৈরি হয়েই আসতো। থাকতো এখানকার হোটেল বা হোস্টেলগুলোয়। বেলগ্রেড এমন একটি শহর যেখানে ভাঙাচোরা বা পরিত্যক্ত বাড়িগুলোতে ইতিমধ্যেই সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অভিবাসীরা বাস করছে। এরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে এসেছে। "তাদের তুলনায় ইরানীদের দেখায় অনেকটা টুরিস্টদের মতো। তাদের বাচ্চারা হুডি, জিনস এবং ব্যকপ্যাক নিয়ে ঘোরে। এরা রাস্তায় বা রিফিউজি সেন্টারে ঘুমায় না, এখানে মাসখানেক হোটেলে থাকে, তার পর কোন একজ মানব পাচারকারীকে ধরে অন্য ব্যবস্থা করে নেয়" - বলছিলেন ইনফো পার্কের গোরদান পাউনোভিচ। ইরানী অভিবাসীরা অন্যদের মতো ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকে না, থাকে হোটেলে তিনি বলছেন, এই ইরানীরা অনেকেই জাল পাসপোর্টধারী - যা ইস্তাম্বুলে ৩ থেকে ৬ হাজার ইউরো খরচ করলে পাওয়া যায়। ইরানীরা যদিও তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অন্য অভিবাসীদের চেয়ে আলাদা - কিন্তু তারা যে সরকারি নিপীড়নের মধ্যে জীবন কাটিয়েছে তা মোটেও সহজ জীবন ছিল না। ব্রিটেনের ইরানী সমিতির কর্তা কাভেহ কালান্ত্রি বলছেন, অনেক ইরানীই স্বাধীনতা আর মানবাধিকারের জন্যই দেশ ছাড়ছেন। "অনেক লোকই তাদের বামপন্থী বা উদারনৈতিক মতামতের জন্য, বা সংখ্যালঘু কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোক হবার জন্য গ্রেফতার হয়। অনেকে প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হচ্ছে।" এক হিসাবে বলা হয় যে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব হবার পর থেকে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই লক্ষ ইরানী দেশ ত্যাগ করছে। ইংলিশ চ্যানেলের তীরে ডোভারে অভিবাসীদের নিয়ে আসা একটি নৌকার ছবি তুলেছেন বিবিসির সাংবাদিক শুধু ব্রিটেনেই ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে ২৬ হাজার ৩৫০টি এসাইলামের আবেদন পড়েছে তার ৯ শতাংশই ইরানী। একটা তত্ব হলো যেহেতু ইরানীরা অপেক্ষাকৃত ধনী, তাই তাদের হাতে চোরাচালানী চক্রগুলোকে দেবার মতো টাকাপয়সা আছে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইরানীদের ইউরোপে আসার সম্ভাবনা বেশি। মি. কাকিচ বলছেন, এই ইরানীদের অনেকেই গত এক বছরে সার্বিয়া হয়ে ইউরোপে ঢুকেছে। এ ছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা আছে বলে তিনি মনে করেন না। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, অভিবাসীদের ব্রিটেনে ঢোকার প্রবণতা বেড়ে যাবার পেছনে সংগঠিত অপরাধী ও মাফিয়া চক্রগুলো আছে - যারা অনেকেই ফ্রান্সের ভেতর থেকে কাজ করে।
হঠাৎ করেই ইরান থেকে এত লোক ব্রিটেনে আসার চেষ্টা করছে কেন? সাম্প্রতিক কিছু প্রবণতার আলোকেই প্রশ্নটা উঠছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নিকি মরগান এবং হেইডি অ্যালেন পরের নির্বাচনে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন, তবে সারা ওল্লাস্টন এবং আন্ড্রে জেনকিন্স লড়াই করবেন (বাম থেকে ডানে) তবে মাত্র দু'বছর পরে তাদের অনেকেই এখন নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না। কারণ এই সময়ের মধ্যে তাদের নানা ধরণের "নোংরামো ও কটূক্তিমূলক আচরণ" এবং "ভীষণ অমানবিক নিপীড়ন" -এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আসন্ন ১২ই ডিসেম্বর ব্রিটেনের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫৭ জন এমপি ঘোষণা করেছেন যে তারা এবারের নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নারী। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে ৬৫০ জন এমপির মধ্যে ৩২% বা ২১১ জন নারী -যা সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি সারাহ ওল্লাস্টন বলেছেন যে, অবসর গ্রহণের বয়সে থাকা পুরুষদের তুলনায় কনজারভেটিভ পার্টি ছেড়ে যাওয়া এই নারীরা অনেক কম বয়সী এবং প্রতিনিধি হিসাবে কম সময় ব্যয় করেছেন। বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল নারীকে তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আরও পড়তে পারেন: ফেসবুকে মিথ্যা খবর ছড়াতেই 'রাজনীতিবিদ' হচ্ছেন যিনি ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন ১২ই ডিসেম্বর: পার্লামেন্ট স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তরাষ্ট্রকে কী দিতে চান ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থীরা? ব্রিটেনে নারীদের ভোটাধিকার পাওযার শতবর্ষ উদযাপন (ফেব্রুয়ারী ২০১৮) উপলক্ষে নারী এমপিদের মধ্যে ডায়ান অ্যাবট (বাম দিক থেকে দ্বিতীয়, প্লাকার্ড হাতে ) দাঁড়িয়ে আছেন। 'মৃত্যু ও ধর্ষণের হুমকি' অ্যামনেস্টি ইউকে'র হিসাব অনুযায়ী, ব্রিটেনে সর্বশেষ নির্বাচনের সময় নারী এমপিরা ২৫ হাজারেরও বেশি আপত্তিকর টুইট পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি এসেছে লেবার পার্টির ডায়ান অ্যাবোটকে লক্ষ্য করে। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পার্লামেন্টে নারীদের ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করেছেন লেবার এমপি রেচেল রিভস। তার মতে - গালাগালি, মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি "নারী এমপিদের জন্য নিত্যদিনের ঘটনা" হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এই সমস্যা পার্টির সীমা অতিক্রম করেছে। রিভস বলেন, "আমি যখন আমার বইয়ের জন্য টেরিজা মে-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন যে "এরা হল সেইসব ছোকরা যারা প্রতি রাতে পানশালার কোণায় বসে নিজেদের বিয়ারের সাথে গজগজ করে, এখন তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই একই কাজ করতে পারছে।" সংস্কৃতি সচিব নিকি মরগান বলেছেন যে তিনি সামনের আরও পাঁচ বছর মৃত্যুর হুমকিসহ নানা কটূক্তি সহ্য করতে পারবেন না। 'আপনার দিন ফুরিয়ে আসছে' যারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের মধ্যে কনজারভেটিভ কালচার সেক্রেটারি নিকি মরগানও রয়েছেন। তাকে বেশ কয়েকবার হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরমধ্যে এক ব্যক্তি অসংখ্য ফোন কল করেছে যিনি বারবার তাকে বলতেন যে তার "দিন ফুরিয়ে আসছে"। বুধবার, মরগান ঘোষণা করেন যে তার পরিবারের উপর নির্যাতন এবং হুমকির "স্পষ্ট প্রভাব" থাকার কারণে তিনি "আরও পাঁচ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন না"। মরগানকে হুমকি দেওয়া ওই ব্যক্তিকে আগস্টে ১৮ সপ্তাহের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। " সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে, আমি মনে করি এ ধরণের নিপীড়নের প্রকৃতি সেইসঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষ কতো দৃঢ়ভাবে ভাবে, সেটা আমি রাজনীতি শুরু করার পর গত প্রায় দশ বছরে ব্যাপকভাবে বদলে হয়েছে।" বর্তমানে ব্রিটিশ রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় আবেগের জায়গা জুড়ে রয়েছে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি। ২০১৫ সালের গণভোটে প্রায় ৯০% এমপি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন, যেখানে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে হবে। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের পরে ব্রিটেনের রাজনীতিকে বিভক্ত হয়ে পড়ে। লিবারেল ডেমোক্র্যাট এবং সাবেক টরি এমপি হেইডি অ্যালেন সাতজন ক্রস-পার্টি এমপিদের মধ্যে একজন ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী ছিলেন, যারা তাদের ব্রেক্সিট অবস্থানের কারণে "হুমকি দেয়া" ইমেইল পেয়েছিলেন - তারা সবাই ছিলেন ইইউ এর সঙ্গে ব্রিটেনের থেকে যাওয়ার পক্ষে। ওইসব হুমকি বার্তায় তার বাড়ি সম্পর্কে খুব বিস্তারিত তথ্য ছিল এমনকি আকাশ থেকে ধারণকৃত ছবিও ছিল। যার কারণে তিনি তার বাড়িতে প্যানিক অ্যালার্ম বসানোর পাশাপাশি সুরক্ষা জোরদার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। নিজ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের লেখা একটি চিঠিতে অ্যালেন বলেছিলেন: "যে কোনো পেশার কাউকেই হুমকি, আক্রমণাত্মক ইমেইল, রাস্তায় চেঁচামেচি, বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোহাই দেয়া সহ্য করতে হবেনা অথবা বাড়িতে প্যানিক অ্যালার্মও বসাতে হবে না। "অবশ্যই ধারণা করা যায় যে, জনগণের কাছ থেকে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসবে কিন্তু কিছু ঘটনা প্রায়ই নিয়মিতভাবে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং যার প্রভাব খুবই অমানবিক। সাত এমপিকে হয়রানির অভিযোগে "হার্ড-ব্রেক্সিট, ডানপন্থী নেটওয়ার্ক"-এর সাথে জড়িত ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ৪২ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওয়েস্টমিনস্টারে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সবসময় বেশি থাকে, তবে নিপীড়ন ও হুমকি কি এই অগ্রগতির পথ থামিয়ে দিতে পারে? 'ওদের জিততে দিও না' ব্রিটিশ রাজনীতিতে অন্যতম দুঃখজনক ঘটনা হল, লেবার এমপি জো কক্সের হত্যাকাণ্ড। ২০১৬ সালের জুনে ব্রেক্সিট গণভোটের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ডানপন্থী মতাদর্শের এক ব্যক্তি জো কক্সকে খুন করেন। জো কক্স ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে এই নিপীড়ন শুধুমাত্র যারা ইইউতে থেকে যেতে চান তাদেরকে টার্গেট করে হয়নি। টরি ব্রেক্সিটায়ার আন্দ্রে জেনকিন্সকে এমন নানা আপত্তিকর আচরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ইমেইলে হুমকি থেকে শুরু করে, তার নির্বাচনী দপ্তরে আত্মহত্যা-সম্পর্কিত গ্রাফিতির মাধ্যমে তাকে যৌন বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে জেনকিন্স বলেছেন যে তিনি এখনও তাঁর আসনের জন্য দাঁড়াবেন। "আমি এখানে একটি কাজ করতে এসেছি এবং আমি আমার এলাকাকে প্রতিনিধিত্ব করতে পছন্দ করি," তিনি বলেন। "যদি আমি হাল ছেড়ে দিতাম তাহলে আমি তাদেরকেও এভাবে জয়ী হতে দিতাম।" পুলিশ ওল্লাস্টনকে পরামর্শ দিয়েছে যে তিনি যেন তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু প্রচার না করেন, তিনি যেন তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনসভায় যাওয়া বন্ধ করে দেন। ব্রিটেনের প্রথম নারী এমপি ন্যান্সি অ্যাস্টার। তবে তিনি বিবিসিকে বলেছেন তিনি নিজের আসনের পক্ষে লড়াই করবেন। "আপনি হাল ছেড়ে দিয়ে এসব নিপীড়নের জবাব দিতে পারবেন না। আপনাকে এসব মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।" রিভস বলেছেন, নারী এমপিদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন এবং শত্রুতা নতুন কিছু নয়। তিনি ইতিহাসের কথা মনে করেন বলেন, ১৯১৯ সালে প্রথম নারী এমপ ন্যান্সি অ্যাস্টার কীভাবে তার আসনটি গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে যাওয়ার জন্য ন্যান্সি অ্যাস্টারকে তার চেম্বারের পুরুষ সহকর্মীদের ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপকে ধাক্কা দিতে যেতে হয়েছে। "তবে আমি মনে করি বর্তমানে যা ঘটছে তা দেখলে তিনি হতবাক হয়ে যেতেন", রিভস টুইট বার্তায় এমন মন্তব্য করেন। "এখন এটা নিশ্চিত করার সময় এসেছে যে আমরা সাধারণ নির্বাচনে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে পিছ পা হবো না।" হাউস অফ কমন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে, এবং নিয়মিত পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করছে।
২০১৭ সালে ব্রিটেনে রেকর্ড সংখ্যক নারী রাজনীতিবিদ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর বাইডেন ও হ্যারিসের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে উদ্দীপ্ত এক ভাষণে তিনি যারা তাকে ভোট দিয়েছেন, যারা তাকে ভোট দেননি, ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান সবাইকে শত্রুতা ভুলে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরির আহবান জানান। তিনি ঐক্য শব্দটির উপর বারবার বিশেষ গুরুত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময় যে ধরনের বিভেদ ও তিক্ততা তৈরি হয়েছে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন তিনি। তিনি বলেন, "আমরা কি হতে চাই সে নিয়ে জোরালো সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসেছে।" "আমরা যদি একে অপরকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তাহলে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্তও নিতে পারি।" ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আমিও বেশ কয়েকবার হেরেছি, আমি আপনার হতাশা বুঝতে পারছি।" দেশটিতে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুকে ঘিরে সহিংস আন্দোলন, করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচাইতে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর অভিজ্ঞতা না ভুলে নতুন সমাজ গড়তে সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে বলেন তিনি। জো বাইডেনের রানিং মেট কমালা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিতে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করার ঘোষণা দেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। তিনি তার ভোটার, প্রচারণা ক্যাম্পের কর্মী, নির্বাচনে নানা ধরনের কাজে যারা অংশ নিয়েছেন, নিজের পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা যেভাবে আমার সাথে ছিলেন, সেভাবেই আমিও আপনাদের পাশেই থাকবো।" ৭৮ বছর বয়সী জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচাইতে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ইতিহাসে যেকোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এবারের নির্বাচনে। যার সংখ্যা ছিল সাত কোটি ৪০ লাখ। জো বাইডেন মঞ্চে ওঠার আগে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত কমালা হ্যারিস তার ভাষণে বলেন, তিনি এখনি কাজ শুরু করতে প্রস্তুত। জো বাইডেন এবং তিনি একসাথে বৈশ্বিক মহামারি ও বর্ণবৈষম্যকে মোকাবেলা করবেন বলে জানান। জো বাইডেনের রানিং মেট কমালা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট' বা নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে জো বাইডেন সকল বিভেদ ভুলে ঐক্য ও সহনশীল সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানান।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ডক্টর অ্যান্থনি বিসলি বিবিসিকে বলেন - এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে গত কয়েক দশক ধরে সরকারি অর্থায়ন ক্রমাগত কমেই আসছে। এই ক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্সের একটি বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ডক্টর বিসলি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজারভেটরির পরিচালক ডক্টর বিসলি মনে করেন যে 'জোতির্বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের মত মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণের খোঁজের বিষয়টিও' গুরুত্বের সাথে নেয়ার সময় হয়েছে। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তা অনুসন্ধানের বিষয়টি বিজ্ঞানের ঠিক প্রথাগত গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে পড়ে না। ডক্টর বিসলি'র মন্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে যে নিউ মেক্সিকোর একটি মানমন্দির 'ভেরি লার্জ অবজারভেটরি'কে পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব খোঁজায় অর্থ সহায়তা দেবে তারা। ভেরি লার্জ অবজারভেটরি একটি মানমন্দির যেখানে একাধিক অ্যান্টেনা রয়েছে এবং এই মানমন্দিরে পৃথিবীর সবচেয়ে সুসজ্জিত দূরবীক্ষণ যন্ত্রও রয়েছে বলে মনে করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বারক্লি'র যে দলটি মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজায় নিয়োজিত রয়েছে, সেই দলের প্রধান ডক্টর অ্যান্ড্রু সিয়েমিওন মন্তব্য করেন যে ভেরি লার্জ অবজারভেটরি মহাকাশে প্রাণ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় যোগ দেয়ায় এই কাজে সফলতার সম্ভাবনা '১০ গুণ, বা ১০০ গুণও' বেড়ে যেতে পারে। আরো পড়তে পারেন: মহাকাশ নিয়ে এতো মরিয়া কেন চীন? ২০১৯ সালের মহাকাশের সেরা কিছু ছবি মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পর্যটক পাঠাবে নাসা মহাকাশে বসবাসযোগ্য গ্রহে পানির সন্ধান মহাশূন্যে বর্জ্য তৈরির প্রধান উৎস হয়ে উঠছে ভারত? ভেরি লার্জ অবজারভেটরির টেলিস্কোপ, যেটি দিয়ে মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজা হবে, দেখতে অনেকটা এরকম হবে পৃথিবীর বাইরে আসলেই কী প্রাণের অস্তিত্ব আছে? আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। এ মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি 'প্রায় নিশ্চিত' যে জুপিটারের একটি চাঁদ 'ইউরোপা'য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনো এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা 'অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী' হতে পারে। তিনি মনে করেন ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে। বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা। এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মহাকাশ স্টেশন প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলগ্রহে! অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনো প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন: "মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।" বৃহস্পতি গ্রহ ও তার কয়েকটি চাঁদ মহাকাশের বার্তা! গত সপ্তাহে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে প্রতি ১৬ দিন অন্তর পাঠানো বার্তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এই ধরণের সিগন্যাল বা বার্তা পাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, তবে এর আগে আসা এরকম বার্তা একেবারেই এলোমেলোভাবে এসেছে। এরকম ধারাবাহিক বিরতিতে এর আগে সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। এই বার্তাগুলো কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে এই মুহুর্তে তারা নিশ্চিত না হলেও এগুলো ব্ল্যাক হোল বা বড় কোনো নক্ষত্র থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিগন্যালটি মাঝারি আকারের কোনো ছায়াপথ থেকে আসছে যেটি ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত হতে পারে। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার পরিকল্পনা রয়েছে নাসা'র যেভাবে মহাকাশে প্রাণ খোঁজার পরিকল্পনা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা হিমায়িত গ্রহ বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২৩ সালে প্রথম মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মঙ্গলগ্রহে এরই মধ্যে 'অপরচুনিটি' ও 'ইনসাইট'এর মত মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা, যেগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা বোঝার চেষ্টা করেছে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের ধরণ আসলে কেমন। এছাড়া আগামী কয়েকবছরেও মঙ্গলগ্রহে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে অধ্যাপক গ্রেডির মতে, "পৃথিবী থেকে অন্যান্য গ্রহের দূরত্ব এতই ব্যাপক যে সেসব গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে আমরা আদৌ সফল হবো কিনা তা কখনোই বলা যায় না।" "আর এখন পর্যন্ত মহাকাশ থেকে যেসব সিগন্যাল পাওয়া গেছে, দু:খজনকভাবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটাই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বা আসল নয়।" আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনোই শেষ হবার নয় মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেবিষয়ে গবেষণা চালাতে একসময় বছরে প্রায়‌ এক কোটি ডলার বিনিয়োগ করতো নাসা। তবে ১৯৯৩ সালে সেনেটর রিচার্ড ব্রায়ানের প্রণীত এক আইনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় অর্থায়ন। সেনেটর ব্রায়ান মনে করতেন এই গবেষণায় নিয়োজিত অর্থ অপচয় হচ্ছে। সেসময়ের পর থেকে মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশে সেরকম কোনো সরকারি অর্থায়ন হয়নি। সেসময় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা হাতে গোনা কয়েকটি গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গিয়েছিল। কিন্তু আমরা জানি এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। ডক্টর সিয়েমিওন মনে করেন মহাকাশবিজ্ঞানের এই অগ্রগতির ফলেই অনেক বিজ্ঞানী এখন পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান করতে আগ্রহী হয়েছেন। ডক্টর সিয়েমিওন বলেন, "মানুষ রাতের আকাশের দিকে যখনই তাকিয়েছে, তখনই তার মনে হয়েছে 'ওখানে কি কেউ আছে?'" "এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার সক্ষমতা এখন আমাদের আছে, যেটিকে হয়তো মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বলা যাবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় মানমন্দিরের প্রধান বলেছেন পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণের সন্ধানের বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নারী বিশ্বকাপে মাঠে ইংল্যান্ড দলের সমর্থক তবে, এখনও পুরুষদের বিশ্বকাপের দর্শক অনেক বেশি। ফিফার দেওয়া হিসাবে, গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ টিভিতে দেখেছে ১১২ কোটি মানুষ। সে তুলনায় ২০১৫ সালের নারী বিশ্বকাপের ফাইনালের দর্শক ছিল ছয় কোটির কিছু বেশি। কিন্তু কিছু ব্যাপারে এবার নারীদের ফুটবল নজর কাড়ছে, প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ১. কম খরচ নারী বিশ্বকাপে টিকেটের দাম পুরুষ বিশ্বকাপের চেয়ে দশ গুন সস্তা গত বছর বিশ্বকাপে মাঠে গিয়ে যাদের ম্যাচ দেখতে হয়েছে, তাদের পকেট ভর্তি করে রুশ রুবল রাখতে হয়েছে। ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল ম্যাচে মাঠে সবচেয়ে ভালো জায়গার টিকেটের দাম ছিল ৬৬০,০০০ রুবল (১,০৪৪ মার্কিন ডলার)। কিন্তু ফ্রান্সের লিঁওতে ৭ই জুলাই নারী বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকেটের দাম মাত্র ৯৫ ডলার, অর্থাৎ পুরুষদের ফাইনালের চেয়ে ১০ গুণ কম। নারী বিশ্বকাপে দর্শকরা এবার ১০ ডলারেও টিকেট কিনে খেলা দেখেছেন। ব্রাজিল দলের ফরোয়ার্ড মার্তা বিশ্বেকাপে গোলের রেকর্ড গড়েছেন। ২. বেশি গোল ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড মার্তা এবারের নারী বিশ্বকাপে ১৯টি ম্যাচে ১৭টি গোল করেছেন। একটি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে এত গোল এখন পর্যন্ত নারী বা পুরুষ কেউই কোনো বিশ্বকাপেই করেনি। এখন পর্যন্ত নারীদের বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রতি গড়ে ২.৬৯টি গোল হয়েছে। সেই তুলনায় পুরুষদের বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রতি গোল হয়েছে ২.৬৪ টি। শুধু বিশ্বকাপ নয়, নারীদের শীর্ষ লিগগুলোতেও পুরুষ লিগগুলোর চেয়ে বেশি গোল হচ্ছে। যেমন, ইংল্যান্ডে নারীদের সুপার লিগে প্রতি ম্যাচে গড়ে গোল হয়েছে ৩.০৫টি, যেখানে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ প্রতি গোলের সংখ্যা ছিল ২.৭৬। ৩. নারীরা বিধি মানে বেশি বিশ্বকাপে টিভি ফেরারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে করছেন ক্যামেরুনের মেয়েরা। এটা বলা ঠিক হবেনা যে নারীরা ফুটবলের মাঠে ফেরেশতার মতো আচরণ করেন। যেমন, গত রোববার ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচে টিভি রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্যামেরুনের মেয়েরা মাঠ থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরুষদের চেয়ে বিধি মেনে চলার প্রবণতা নারী ফুটবলারদের অনেক বেশি। ২০১৫ সালের নারী বিশ্বকাপে মোট ১১৫ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল। সেই তুলনায় রাশিয়ায় গত বছরের বিশ্বকাপে ২১৯ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। জেনি ফ্রামটন, যিনি ৩০ বছর ধরে পুরুষ এবং নারীদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন, মনে করেন পুরুষ ফুটবলে ''প্রতারণা''র ঘটনা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তিনি বলছেন, "পয়সা এবং পুরুষ তারকাদের মধ্যে অহংবোধের কারণেই মূলত এটা বেশি দেখা যায়।" তবে, ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তৃপক্ষ এখন বলছে নারীদের ফুটবলেও এখন হলুদ কার্ড দেখানোর সংখ্যা বাড়ছে। রেফারি জেনি ফ্রামটন (বামে) বলছেন নারীরা মাঠে নিয়ম কানুন মানেন বেশি ২০১৬-১৭ সালে এই সংখ্যা যেখানে ছিল ম্যাচ প্রতি ১.৩, পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১.৫ এবং গত বছর প্রতি ম্যাচে গড়ে ১.৬টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। ফ্রামটন মনে করেন, নারীদের ফুটবল যত বেশি পেশাদারি হবে, জনপ্রিয় হবে, নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতাও তত বাড়বে। ৪. আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা পুরুষদের বিশ্বকাপের শিরোপা এখন পর্যন্ত দুটো মহাদেশের (ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা) মাত্র ৮টি দেশের কাছে গেছে। নারী বিশ্বকপের ইতিহাস বেশি দিনের নয়, কিন্তু এর মধ্যেই তিনটি মহাদেশের (উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া) চারটি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, নরওয়ে, জাপান) এটি জিতেছে। সম্ভাব্য বিজয়ীদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে বিশ্ব জুড়ে নারী বিশ্বকাপ নিয়ে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। ৫. সমকামী+সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের মেগান রাপিনো (হাঁটু গেড়ে বসা) খোলাখুলি নিজের সমকামী বলে পরিচয় দেন। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ২১ দলের সাবেক খেলোয়াড় জাস্টিন ফাশানু ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ ফুটবলার যিনি নিজেকে সমকামী বলে জানান দিয়েছিলেন। সাবেক জার্মান ফুটবলার টমাস হিটসপার্জার, যিনি ২০১৪ সালে অবসর নেন, বলেন, শীর্ষ লিগে নিজেকে সমকামী বলে পরিচয় দেওয়া এখন সহজ কাজ নয়। "এখনও অনেক দূর যেতে হবে।" সেই তুলনায়, নারীদের লিগ অনেক বেশি উদার। যুক্তরাষ্ট্রের তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী দলের ফরোয়ার্ড মেগান রাপিনো নিজেকে খোলাখুলি সমকামী বলে পরিচয় দেন। তার সঙ্গীর সাথে নগ্ন ছবি তুলে তা প্রকাশও করেছেন তিনি।
ব্যাপক প্রচার এবং নাটকীয়তার কারণে চলতি নারী বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশে দারুণ উৎসাহ তৈরি হয়েছে। টিভি দর্শকের সংখ্যা এবার নজিরবিহীন। বিশেষ করে ব্রাজিল, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক এবার নারী বিশ্বকাপ দেখছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বঙ্গভ্যাক্স নামে কোভিডের টিকা তৈরি করছে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান। রবিবার বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের কাছে এই আবেদন করা হয়। বলা হচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার পরের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে ঢাকার কোন একটি বেসরকারি হাসপাতালে শখানেক স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে ট্রায়ালের জন্য। গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাকন নাগ বিবিসিকে বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদনটি তাদের পক্ষ থেকে করেছে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যার স্পন্সর করছে গ্লোব বায়োটেক। "ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হলে সাধারণত তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে করতে হয়, সেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে," বলেন মি. নাগ। পুরো ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে একটি গবেষক দল। যারা আজকের আবেদনটি জমা দিয়েছে। কীভাবে করা হবে? মানবদেহে গ্লোব বায়োটেকের টিকার ট্রায়ালটি কিভাবে করা হবে সেটি আবেদনপত্রে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না বলে জানান মি. নাগ। তিনি বলেন, ট্রায়ালটি কোথায় করা হবে সেটিও এথিক্যাল কমিটির অনুমোদনের পরই নির্ধারিত হবে। তবে আপাতত বলা যায় যে, এটি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রায়াল পরিচালনা করা হবে। আরো পড়ুন: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে গ্লোব বায়োটেক। এই ট্রায়ালে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়। তিনি বলেন, "কোথায় ট্রায়ালটি হবে সেটি এখন বললেও পরে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত যে একটি বেসরকারি হাসপাতালেই করা হবে।" বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের অনুমোদনের পর ৭-১০ দিনের মধ্যেই টিকার ট্রায়াল শুরু হবে বলেও জানান মি. নাগ। ট্রায়ালটি কতদিন চলবে? কাকন নাগ বলেন, ফেস ওয়ান এবং ফেস টু- এই দুটি ধাপের জন্য ট্রায়ালের অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে। একটি ফেস বা ধাপ শেষ হলে আরেকটি শুরু হবে। এই একটি ধাপ শেষ করতে হলে ৪০-৪৫ দিন লাগতে পারে বলে জানান তিনি। প্রথম ধাপটি শেষ হওয়ার পর ফেস টু বা দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে। তবে এর মধ্যে তথ্য মূল্যায়নের বিষয়টি রয়েছে বলেও জানান। টিকা আসতে কতদিন সময় লাগবে? গত অক্টোবরে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. নাগ বলেছিলেন যে, ৬ মাসের মধ্যে টিকা ব্যবহারের জন্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী এরইমধ্যে প্রায় তিন মাস পেরিয়ে চার মাস হতে চললো। তবে এখনো টিকা উৎপাদন নয় বরং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেরও তিন থেকে চারটি ধাপ রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র দুটি ধাপের অনুমোদনের জন্য রবিবার আবেদন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে এসে টিকা বাজারে আসতে আর কতদিন লাগবে এমন প্রশ্নের উত্তরে মি. নাগ বলেন, এখনো টিকা উৎপাদন বিষয়ক ৫-৬ মাসের কাজই বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, "এর যে ব্যবস্থাপনাগুলি, এর অনুমোদনগুলি মাত্রাতিরিক্ত সময় লেগে যাচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু কেন সে বিষয়টি আমি জানি না।" তিনি কিওরভ্যাক নামে জার্মানির একটি ভ্যাকসিনের উদাহরণ টেনে বলেন, এই ভ্যাকসিনটি বঙ্গভ্যাক্সের দুই সপ্তাহ পরে আবিষ্কার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। সেদেশের সরকারের সহযোগিতায় ভ্যাকসিনটি এরইমধ্যে হিউম্যান ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। কিন্তু বঙ্গভ্যাক্স এখনো হিউম্যান ট্রায়ালের মাত্র প্রথম ধাপ শুরু করার আবেদন করেছে। গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, অনুমোদনের যে দীর্ঘসূত্রিতা, সেটাই জড়িত। ওখানে এটা প্রায়োরিটির ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে ওরা তৃতীয় ধাপে আছে এবং আগামী মাসে হয়তো বাজারে আনারও অনুমোদন পেয়ে যাবে। "অনুমোদনের যে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিটা এখানে আছে সেটার দীর্ঘসূত্রিতাই এটার জন্য দায়ী। এটা আর কতদিন ডিলে হবে সেটাও আমি বলতে পারছি না," বলেন তিনি। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, কোন ধরণের দীর্ঘসূত্রিতা হয়নি এবং অনুমোদনের আবেদন পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে তাদের কাছে টিকা উৎপাদনের আবেদন আসলে সেটিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুমোদন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। অনুমোদনের পরবর্তী ধাপ কী? বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের একটি কমিটি রয়েছে যারা গ্লোব বায়োটেকের যে আবেদনপত্র আছে সেগুলি মূল্যায়ন করে দেখে তার পর অনুমোদন দেবেন। মি. নাগ বলেন, এথিক্যাল কমিটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে, এই ওষুধটি যে স্বেচ্ছাসেবীদের উপর প্রয়োগ করা হবে তাদের যদি কোন ধরণের হুমকি তৈরি না হয় অর্থাৎ কোন রিস্ক না থাকে এবং যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে সেগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে, সেই নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা। "অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটলে সেটা সামাল দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে কিনা সেটি দেখাই এই কমিটির কাজ।" এরইমধ্যে ট্রায়ালের জন্য যে টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে, সেই টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন এরইমধ্যে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। ট্রায়ালের পর এটি আবারো ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে টিকা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। বিএমআরসি কী বলছে? বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবে মিল্লাত বলেন, অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, কোন আবেদন আসলে সেটি রিভিউ করতে বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়। এগুলো যেহেতু জরুরি তাই বিশেষজ্ঞদের রিভিউ দ্রুত দিতে বলা হয়। তাদের যদি কোন বিষয়ে কোন তদন্ত করার থাকে তাহলে তারা সেটি ইনভেস্টিগেটর বা ট্রায়াল পরিচালনাকারী দলের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠাবে। তারা যত দ্রুত উত্তর দেবে তত দ্রুত এর রিভিউ সম্পন্ন করা হয়। বিশেষজ্ঞরা যদি কোন সমস্যা না দেখেন তাহলে তারা একটি প্রতিবেদন দেন যা বিএমআরসির এথিক্যাল কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এই কমিটি ক্লিয়ারেন্স দিলে সেটি জানিয়ে দেয়া হয় এবং এর পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে পারবে। তবে এর পর বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসনেরও একটি অনুমোদন লাগে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে বিএমআরসির অনুমোদন পেতে সপ্তাহ দুয়েকের মতো সময় লাগে বলে জানান মি. মিল্লাত।
বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক তাদের উৎপাদিত করোনাভাইরাস টিকা মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য আবেদন করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
এনআরসি তালিকায় নাম আছে কিনা দেখার জন্য আাসামের একটি কেন্দ্রে এসেছেন একজন মুসলিম নারী। এরপরেই প্রশ্ন আসবে তাদের বিদেশি হিসাবে ঘোষণা করা বা গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ। তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি সেরকম কিছু না ঘটলেও, প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের এখনি সতর্ক হওয়া উচিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য যদিও শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এ বিষয়ে ভারতের আশ্বাসের প্রতি বাংলাদেশ বিশ্বাস রাখে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ২০শে অগাস্ট ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের ঢাকা সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ''সেখানে তিনি (জয়শংকর) স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং (বাংলাদেশের জন্য) কোন সমস্যা হবে না।''। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ''এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তাই আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।'' আরো পড়ুন: 'এখন আমার কী হবে'- নাগরিকত্ব হারানো জমিরন আসামের নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ ১৯ লক্ষ মানুষ আসামে নাগরিকত্ব হারানোদের সামনে জটিল দীর্ঘ পথ এনএরসির চূড়ান্ত তালিকায় নাম খুঁজতে শনিবার সকাল থেকে ভীড় উদ্বিগ্ন হওয়া আর সতর্ক হওয়া প্রয়োজন তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসীন বলছেন, বাংলাদেশের এখনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার আর প্রস্তুতি নেয়ার দরকার আছে। ''যারা বাদ পড়েছে, সেখানে আরো প্রক্রিয়া বাকী আছে, আদালতের ব্যাপার আছে। এসব প্রক্রিয়ার মধ্যে গিয়ে এই সংখ্যাটি কমে আসবে।'' ''ওই তালিকার মধ্যে অনেক ভুলভ্রান্তিও আছে। দেখা যাচ্ছে বাবা তালিকায় এসেছে, ছেলের নাম আসেনি। সেগুলোও ঠিক করতে হবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখন যে সংখ্যাটি আছে, সেটা হয়তো আরো কমে যাবে।'' ''কিন্তু তারপরেও আমি মনে করি, বাংলাদেশের যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটে গেছে, সেরকম পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না নয়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের সতর্ক থাকা উচিত। বাংলাদেশের সরকারের জোরালোভাবে দাবি করা উচিত, যে এরা বাংলা ভাষায় কথা বললেও, তারা বাংলাদেশি নাগরিক না।'' বলছেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। ''ওরা এদের বাংলাদেশি বলার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের পরিষ্কার করে বলা উচিত যে, এরা বাংলাদেশি নয়, এদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোন ধরণের দায়িত্ব নেবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেই বার্তাটা পরিষ্কার করে দেয়া উচিত।'' বলছেন আমেনা মহসীন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, ভারতের তালিকা থেকে বাদ পড়াদের বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বাংলাদেশে ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: পুলিশের ওপর বোমা হামলায় 'আইএসের' দায় স্বীকার টেক্সাসে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত সব সময় ইতিবাচক থাকার ৬টি উপায় সরকার কেন চায় কর্মকর্তাদের পরিবার সাথেই থাকুক? গৌহাটির গৃহবধু জমিরন পারভীন। পরিবারের মধ্যে একমাত্র তিনিই বাদ পড়েছেন চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে। বাংলাদেশের অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির মনে করেন, এখনি উদ্বিগ্ন না হলেও বাংলাদেশের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যেভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তালিকায় বাদ পড়াদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, ভবিষ্যতে সেটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখনো এই তালিকায় বাদ পড়াদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা বা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সরকারি তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের বক্তব্যে তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন। সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন, ''তালিকায় শেষ পর্যন্ত যারা বাদ পড়বে, তাদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে ভারতের দিক থেকে কোন একটা সময়ে একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে এ ধরণের ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক একটি বিষয় থাকে। সেখানেই এই বিষয়টা পরিষ্কার করতে হবে। এটা যেন সেই পর্যায়ে না গড়ায়, এজন্য এখন থেকেই বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। '' তিনি বলছেন, রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, সেভাবে একপাক্ষিকভাবে জোর করে এতো মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া ভারতের পক্ষেও সম্ভব হবে না। কোন কিছু করতে হলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারতকে সেটা করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। ৫৯ বছর বয়সী মধুবালা মণ্ডলের নাম আসেনি আসামের নাগরিক তালিকায় ''এতো মানুষকে বাংলাদেশ গ্রহণ না করলে ভারত জোর করে পাঠাতে পারবে না। একপাক্ষিক ব্যবস্থা ভারত নেবে আমার মনে হয় না। কাউকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইলে ভারত আলোচনার মাধ্যমে কোন ব্যবস্থার মধ্যে যাবে। ''ভারত প্রস্তাব দিলেও সেটা তো আর আমাদের গ্রহণ করতে হবে না। অভারতীয় হলেই বা বাংলাভাষী মুসলিম হলেই তো আর বাংলাদেশি হয়ে যায়না। সেটা জোরালোভাবে বলতে হবে। সুতরাং ভারতের অভ্যন্তরীণভাবেই এই বিষয়টা সমাধান করতে হবে।'' বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেক্ষেত্রে এরকম বিষয় তুলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সেই সম্পর্ক কি নষ্ট করতে চাইবে? হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, ভালো সম্পর্ক থাকার পরেও এ ধরণের ঘটনা যে ঘটবে না সেটা বলা যায় না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, তাদের মধ্যেও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এরকম অভিবাসী ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা হয়েছে। আসামের ১৯ লাখেরও বেশি মানুষের নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই 'বিদেশী'দের পরিণতি কী হবে? তাদেরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হতে পারে। যে হাজার খানেক মানুষকে আসামে ইতিমধ্যেই বিদেশী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের বিভিন্ন কারাগারের ভেতর ছটি আটক কেন্দ্রে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন একটি আলাদা আটক কেন্দ্র তৈরি করছে যেখানে ৩০০০ লোককে রাখা যাবে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বার বার জোর দিয়ে বলেছে অবৈধ মুসলিম অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। তবে প্রতিবেশী বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় বলে দিয়েছে আসাম থেকে তারা একজনকেও গ্রহণ করবে না।
ভারতের আসামে নাগরিকদের যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি বাসিন্দা। এখন তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে, যার সামনে রয়েছে দীর্ঘ আইনি লড়াই।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সৌরভ গাঙ্গুলি ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। বুধবার দুপুরে ব্যথা বাড়লে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। এর আগে, গত ২রা জানুয়ারি বাড়ির জিমে শরীরচর্চা করার সময় আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান সৌরভ। সেই সময় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হৃদপিণ্ডে তিনটি ব্লক পাওয়া গিয়েছিল। ব্লক সরাতে তখন একটি স্টেন্ট স্থাপন করা হয়। আরও পড়ুন: সাতই জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তখন চিকিৎসকদের নয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল বলেছেন, তার আর এনজিওপ্লাস্টির দরকার নেই, বাকি দুটো ব্লক ঠিক হয়ে যাবে। কলকাতার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌরভ গাঙ্গুলি নিজের গাড়িতে করেই হাসপাতালে আসেন। সেই সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ২০০৭ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান। আর পরের বছরই তিনি তার শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেন। গত বছর তিনি শক্তিশালী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড - বিসিসিআই'য়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ওয়ানডেতে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে মিরাজ, আটে মুস্তাফিজ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন ও তার উত্তর প্রথম ফোনালাপে পুতিনের সাথে যে কথা হলো প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আলোচনায় কাদের মির্জা: সাধারণ সম্পাদকের ভাই, নাকি 'সত্যবচন'?
আবার বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ২০০৮ সাল থেকে জাতি সংঘের চালু করা রীতি অনুযায়ী প্রতি চারবছর অন্তর সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্য দেশগুলির কাছে জবাবদিহি করতে হয়। সেই হিসাবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জন্য এই প্রথম এবং দেশ হিসাবে তৃতীয়বার মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি ওই সব প্রশ্নের জবাব নিয়ে আজ হাজির হবেন মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে। বিভিন্ন দেশ ভারতের কাছে যেসব প্রশ্ন জানতে চেয়েছে, তার মধ্যে মূলত রয়েছে সংখ্যালঘু আর দলিত শ্রেণীর মানুষদের সুরক্ষার জন্য ভারত কী কী করছে। লিঙ্গ বৈষম্য, হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু, নারী অধিকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পার বলে বলীয়ান হয়ে যে সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সামনে এসেছে - থাকবে সেই সব বিষয়ও। ভারত সরকারের জবাব ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতি সংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজও তাদের নিজস্ব রিপোর্ট পাঠায়। সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সাম্প্রদায়িকতা বন্ধে মোদির সরকার কী করেছে এমন নানা প্রশ্ন তোলা হবে। ওইসব প্রতিবেদনের ওপরে ভিত্তি করেই যে যে অংশে মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন আছে বলে বাকি দেশগুলি মনে করে, সে ব্যাপারে উপদেশ দিয়ে থাকে তারা। আজকের প্রশ্নোত্তর পর্বে ১১২টি দেশের প্রতিনিধিরা ভারতের কাছে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি তুলবে। কী কী প্রশ্ন আসতে চলেছে ভারতের কাছে? ব্রিটেনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? আর সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধের জন্য বিশেষ আইন তৈরির দিকে কতটা এগিয়েছে ভারত সরকার? সুইজারল্যান্ড জানতে চাইবে সংখ্যালঘুদের ওপরে হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া অপরাধীদের আড়াল করছেন যেসব সরকারী কর্মী, তাঁদের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করতে ভারত সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে ভারত সরকার কী ভাবছে? নরওয়েসেটা জানতে চাইবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কী করা উচিত বলে ভারত মনে করে? আর নেদারল্যান্ড প্রশ্ন তুলবে, যে সাতটি ভারতীয় রাজ্যে ধর্ম-পরিবর্তন রোধ করতে আইন করা হয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে কী করা হচ্ছে? সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সরকারী স্তরে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে - এই প্রশ্নও করবে নেদারল্যান্ড। সব প্রশ্নেরই উত্তর তৈরি করে আজ কাউন্সিলের সভায় হাজির হতে চলেছেন ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে আজ বিভিন্ন দেশের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ভারত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জাতীয় পার্টির লোগো জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমরাও ঠিক আশা করিনি এত কম আসনে তারা জয়লাভ করবে। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের থেকে তারা হয়তো আরো বেশি আসনে জয়লাভ করতে পারে।'' নির্বাচনে মহাজোটের বিপুল বিজয় ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে বলে যে অভিযোগ করছে ঐক্যজোট ও বিএনপি। তবে নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়েছে বলে মনে করেন না জাতীয় পার্টির মহাসচিব। মশিউর রহমান রাঙ্গা বলছেন, ''আমার নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম, চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনী এলাকায়ও গিয়েছি। আমি দেখেছি সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনই হয়েছে।'' সেটা করতে না পারার কারণেই তারা এখন 'মনঃক্ষুণ্ণ' হয়ে নানা অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মনে করেন। আরো পড়ুন: যেভাবে বিবিসির চোখে পড়লো ভোটের আগেই পূর্ণ ব্যালটবক্স রাঙ্গা জাপা মহাসচিব: কেন সরানো হলো হাওলাদারকে? নির্বাচনের আগে এরশাদ কেন আবার সামরিক হাসপাতালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা ঐক্যজোটের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''ঐক্যফ্রন্ট অনেক বেশি আশা করেছিল যে, মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে গণতন্ত্রের কথা বলে। সেটি তারা মানুষকে নামাতে পারেনি বা মানুষ তাদের পক্ষে আসেনি।" আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোট থেকে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, যদিও তাদের নির্বাচনী প্রতীক ছিল ভিন্ন। জাতীয় পার্টি যদিও এর আগের সংসদে আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল, একই সঙ্গে তাদের দল থেকে কয়েকজনকে মন্ত্রীও করা হয়েছিল। সেই সংসদে তাদের মোট আসন ছিল ৩৪টি। সব দলের অংশগ্রহণে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় পার্টি। আজ এক বৈঠকে দলটি ঠিক করবে সংসদে সরকার নাকি বিরোধী দল, কোন দিকে আসন গ্রহণ করবে তারা। মি. রহমান বলছেন, ''এ বিষয়ে আজ প্রেসিডিয়াম সভা ডাকা হয়েছে, যেখানে নবনির্বাচিত এমপিরাও থাকবেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো যে, আমরা সরকারে থাকবো কিনা বা মন্ত্রিপরিষদে থাকবো কিনা।'' বিএনপি বা অন্যান্য বিরোধী দল থেকে নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়া না যাওয়ার ওপরেই তাদের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে কিনা, জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, "তাদের ওপর আমাদের কিছু নির্ভর করছে না। আমরা প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? বছর জুড়ে যে ৯টি ঘটনা আলোচিত ছিল নতুন বছরে সংকল্পে স্থির থাকার পাঁচটি উপায় যেভাবে বিবিসির চোখে পড়লো ভোটের আগেই পূর্ণ ব্যালটবক্স
বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এতো কম আসন পাবে - সেটা আশা করেনি জাতীয় পার্টির নেতারাও। বরং তাদের ধারণা ছিল যে, ঐক্যফ্রন্ট তাদের চেয়েও বেশি আসন পাবে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের অবস্থান। ভারতীয় গোলার আঘাতে পাকিস্তানের তিনজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছেন ১১ জন। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় পাঁচজন ভারতীয় সৈনিকের আহত হওয়ারও খবর এসেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের আকাশ সীমার প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ১২টি যুদ্ধ বিমান বোমাবর্ষণ করে জঙ্গী সংগঠন জৈশ-ই-মুহম্মদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবী করেছে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনী যে পাকিস্তানের আকাশসীমার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল, তা স্বীকার করলেও পাকিস্তানী বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী পাল্টা ধাওয়া করলে জঙ্গলের ওপরে বোমা ফেলে চলে যায় ভারতীয় বিমানগুলি। এতে কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেও দাবী করে পাকিস্তান। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখার দুপাশে উত্তেজনা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সেক্টরে গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ বালাকোট হামলা: কতো দূর গড়াতে পারে উত্তেজনা পাহাড়ি এলাকা বালাকোট তার নিসর্গ দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। কী জানা যাচ্ছে সংঘর্ষের বিষয়ে? পাকিস্তান থেকে বিবিসি-র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ওই এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি সব সরকারী স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কোটলি সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় চারজন নিহত হন। এছাড়াও রাওয়াকোট, ভাঁওর, চাকৌতে মেশিনগান থেকে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারা মর্টারও ছোঁড়ে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারতও অভিযোগ করছে যে পাকিস্তানই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, "কাশ্মীরের আখনুর, নৌশেরা সেক্টরগুলিতে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সংঘর্ষ বিরতির চুক্তি ভেঙ্গেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।" কাশ্মীর বিভক্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এল ও সি দিয়ে এইসব গোলা বিনিময়ের ঘটনায় ১১ জন ভারতীয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে। তাদের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতের দিকেও পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীনগর থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, উত্তর কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার দুদিক থেকেই ব্যাপক গোলাগুলি চলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবার সোফিয়ানে সন্দেহভাজন জৈশ-ই-মুহম্মদ সদস্যদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি এনকাউন্টার হয়েছে যাতে দুজন জৈশ জঙ্গী মারা গেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বালাকোট হামলা : এখনও পর্যন্ত কী জানি, কী জানি না বালাকোটে ভারতের বোমা বর্ষণ: কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ভারতের বোমা বর্ষণ
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর ভারত আর পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
চতুষ্পদ রোবট- স্পট। এর আগে এই কুকুর বানানোর খবর সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউটিউবেও তার একটি ভিডিও দেখেছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। কৃত্রিম এই কুকুরটির নাম: স্পট। বোস্টন ডাইনামিক্স কোম্পানি বলছে, কুকুরের মতো দেখতে চার-পায়ের এই রোবটটিকে এখন একটি গাড়ির চাইতেও কম মূল্যে লিজ বা ভাড়া নেওয়া যাবে। কোম্পানিটি বলছে, নির্মাণ কাজ, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে এবং জননিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে এই রোবটটিকে ব্যবহার করা সম্ভব। একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, মূল্য বেশি হওয়ারে কারণে অনেকেই হয়তো এটি ব্যবহার করতে আগ্রহী হবে না। তবে কোম্পানিটি বলছে, কৃত্রিম এই কুকুরটির দাম কতো হবে সেটা নির্ভর করছে এর চাহিদার উপর। যুক্তরাজ্যে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ও রোবটিক্স বিশেষজ্ঞ নোয়েল শার্কি বলছেন, "চতুষ্পদ রোবটের একটি দারুণ উদাহরণ হতে পারে এই স্পট, বিশেষ করে এর সাথে হাত যুক্ত করার পর। এখন এটিকে আরো একটু বেশি ব্যবহারযোগ্য বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু দাম অনুযায়ী এটাকে কি আর ততোটা ব্যবহারযোগ্য বলে মনে হবে?" "তবে এই রোবটটিকে যদি নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যায় তাহলে হয়তো এটি ব্যয়সাপেক্ষ হবে।" তিনি বলেন, "এই রোবটটি এমন জায়গায় পৌঁছাতে পারে যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া কঠিন। নির্মাণ শ্রমিকদের পাশাপাশি এটিও ইটের মতো নানা নির্মাণ-সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি বহন করতে পারে।" যে রোবট কুকুর আপনার ঘরে ঢুকে যেতে পারে আরো পড়তে পারেন: রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে? ইন্টারভিউ বোর্ডে রোবট যখন আপনার পরীক্ষা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এতো ভয় কিসের? তবে তিনি এও বলেছেন, বোস্টন ডায়নামিক্সের জন্যে এটি একটি বড় পরীক্ষা। এখন সাধারণ ভোক্তাদের জন্যে এটিকে আরো সস্তায় তৈরি করা যায় কীনা সেটা নিয়ে হয়তো প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে। এখন কেউ যদি স্পটকে ব্যবহার করতে আগ্রহী হয় তাহলে তাকে বোস্টন ডায়নামিক্সের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। কোম্পানিটি বলছে, পরীক্ষামূলক-ভাবে তারা এখনও পর্যন্ত ১০০টি স্পট তৈরি করেছে। এখন তারা এটিকে গণহারে উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। বোস্টন ডায়নামিক্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক রাইবার্ট বলছেন, "আমাদের জন্যে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর আগে এই কোম্পানি একটি অনুষ্ঠানে দেখিয়েছিল সেটি কিভাবে একটি পার্সেল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটি ঠিক পরিকল্পনা অনুসারেই কাজ করেনি। কিন্তু পরে স্পটের যে ভিডিও ছাড়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে স্পট হেঁটে যাচ্ছে, সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠছে, এবং দরজা খুলে ঢুকছে ঘরের ভেতরে। এটি আরো যা করতে সক্ষম: তবে অনেকেই বলছেন, স্টপকে যদি নির্মাণ খাতে কাজে লাগানো হয় তাহলে তাকে এর চেয়েও বেশি ওজন বহন করার ব্যাপারে সক্ষম হতে হবে। এই স্পট তৈরির ব্যাপারে কোম্পানির আসল গবেষণাটির পেছনে অর্থের যোগান দিয়েছিল সামরিক বাহিনী। প্রথম দিকের ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রেও কিভাবে রোবট কাজ করতে পারে। কিন্তু পরে বোস্টন ডায়নামিক্স এই ধারণা থেকে সরে এসেছে। ঢাকার প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশনকারী চীনা রোবট আরো পড়তে পারেন: প্রকাশ্যে মলত্যাগ করায় শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসন প্রচেষ্টার পেছনে কী? সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ক্ষুদে তারকারা
যুক্তরাষ্ট্রে রোবট নির্মাণকারী একটি কোম্পানির তৈরি জনপ্রিয় একটি 'কৃত্রিম কুকুর' ব্যবহারের জন্যে ভাড়া দেওয়া শুরু হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দুর্ঘটনা-কবলিত ট্রেন থেকে যাত্রীরা বের হয়ে আসছেন। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারীরা। ট্রেনটি রাজধানী তাইপে থেকে তাইতুং শহরে যাচ্ছিল। এই ট্রেনটিতে বেশ কিছু পর্যটক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সকাল নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণের একটি গাড়ি ট্রেন লাইনের উপরে চলে আসলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যেসব বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সেখান থেকে যাত্রীরা তাদের মালামাল নিয়ে বের হয়ে লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তাইওয়ানের একটি সংবাদমাধ্যমকে এক নারী জানান, "হঠাৎ করে একটি বিরাট ঝাঁকুনি হলো আর আমি পড়ে গেলাম।" "আমরা জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ট্রেন থেকে বের হয়ে ছাদের উপরে উঠে আসলাম। " কর্তৃপক্ষ বলছে, পেছনের দুটো বগি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানেলের ভেতরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি হচ্ছে তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাইওয়ানে ট্রেন লাইন-চ্যুত হয়ে ১৮ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ১৯৯১ সালে দুটো ট্রেনের সংঘর্ষে ৩০জন নিহত এবং ১১২জন আহত হয়েছিল। এই ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই টম্ব সুইপিং ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা পরিবার, আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধবের কবর দেখতে যান এবং সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। মূলত, মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এই সময় অনেকে ভ্রমণ করেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রেনটির চালকও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্রেনের ভেতর আটকে পড়াদের উদ্ধার করা এক সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
তাইওয়ানে একটি টানেলের ভেতরে ট্রেন লাইন-চ্যুত হবার ঘটনায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো ৭২ জন ভেতরে আটকা পড়েছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সম্প্রতি কিশোরীর এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছ তালেবান জঙ্গিদের হামলায় ঐ কিশোরীর অভিভাবকরা মারা যাওয়ার পর অস্ত্র হাতে একাই প্রতিরোধ করে তালেবানদের পিছু হটতে বাধ্য করেন তিনি। ঘোর প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালেবানদের হামলার জবাবে পরিবারের একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে ঐ কিশোরীর পাল্টা আক্রমণে দুইজন তালেবান সেনা মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, তালেবানরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল কারণ ঐ কিশোরীর বাবা সরকার সমর্থক ছিলেন। ঘোর প্রদেশের সরকারি একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ আরেফ আবেরের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে যে তালেবান জঙ্গিদের দলটি ১৭ই জুলাই রাত একটার দিকে ঐ কিশোরীর বাসায় উপস্থিত হয়। জঙ্গিদের গুলিতে কিশোরীর মা ও বাবা মারা যাওয়ার পর ঘরের ভেতর থেকে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করে ঐ কিশোরী। ঐ ঘটনার পর অস্ত্র হাতে ঐ কিশোরীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক দফা পিছু হটার পর তালেবানরা ঐ কিশোরীর বাড়িতে আবার হামলা চালানোর চেষ্টা চালালেও গ্রামবাসী ও সরকার সমর্থিত সেনাদের বাধার মুখে পিছু হটে। কর্মকর্তারা বলছেন কিশোরীর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাকে এবং তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে অনুন্নত প্রদেশ ঘোর এবং সেখানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। আরো পড়তে পারেন: 'ডাক্তারকে নাম বলায় পেটালেন স্বামী' - যে দেশে মেয়েদের নাম প্রকাশ নিষেধ আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী আফগান যে নারীকে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে আফগান নারীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? 'প্রত্যেক পুরুষ আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়'
তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে 'বীরত্ব' প্রদর্শন করায় আফগানিস্তানের এক কিশোরীকে নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মঙ্গলবার বাস চাপায় এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা বিবিসি বাংলাকে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, "সরকার মালিক-শ্রমিক সংগঠনকে ভয় পায়, সেকারণে গত বছরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরও সড়কে দুর্ঘটনার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।" মি. কাঞ্চন মনে করেন, সরকার কঠোরভাবে সড়ক পরিবহন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনের বিরোধিতার কারণে তারা সফল হচ্ছে না। "নির্বাচনের আগে নভেম্বর মাসের শেষদিকে সরকারি দলে থাকা অবস্থাতেও মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংসদে নতুন পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে।" "ঐ হরতালের সময় রাস্তায় নামা গণপরিবহনের চালকদের হয়রানিও করে তারা," বলেন মি. কাঞ্চন। আরো পড়তে পারেন: ইলিয়াস কাঞ্চন: জীবন যখন উপন্যাসের মতই ট্র্যাজিক সড়ক দুর্ঘটনায় আবার ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক: আইন মানার প্রবণতা কতটা? ঐ হরতালের মাসখানেকের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় শ্রমিক সংগঠনের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার শ্রমিকদের ধর্মঘট থামায় বলে মন্তব্য করেন মি. কাঞ্চন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হরতাল যারা করেছিল তাদের দাবিগুলো যাচাই করার একটি কমিটি এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কমিটি তৈরি করা হয়। তবে ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়নি। একই ধরণের ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য এবং এর প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন মি. কাঞ্চন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মি. কাঞ্চন বলেন, এসব বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার, জনগণ সেসব পদক্ষেপের উদাহরণ দেখছে না বলেই তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে এবং মানুষ বারবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তিনি জানান, "আমরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে অনেক ক্ষেত্রে বলতে শুনেছি যে, পথচারী, চালক কেউই আইন মানছে না।" "যারা আইন মানাবে, তাদের মুখ থেকেই যদি এমন হতাশা প্রকাশ পায় তাহলে এটিকে সরকার এবং আইন গ্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা হিসেবেই ধরতে হবে," বলেন মি. কাঞ্চন। "সরকার যদি এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা না করে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মনে হচ্ছিল আমি হয়তো মারা যাচ্ছি বা মারা যাবো' পার্বত্য চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিল কেন থামছে না? বিশ্বের কোন শহরটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর কোনটি সস্তা ইলিয়াস কাঞ্চনের নি:সঙ্গ লড়াই
ঢাকার নর্দ্দার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসের চাপায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আবারো শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দায়ী বলে মনে করেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চালানো ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মরিয়ম নওয়াজের যে সংবাদ সম্মেলন প্রচার করায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তিনটি টিভি চ্যানেল। মাত্র গতকালই কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়াম নওয়াজের সংবাদ সম্মেলন সরাসরি প্রচার করার কারণে তিনটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। মরিয়ম নওয়াজ এখন বিরোধী দল মুসলিম লীগের নেতা। দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর তার সাজা হয়েছিল। সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন রাজনীতিকদের সাক্ষাৎকার প্রচারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞাকে পাকিস্তানে বিরোধী দলকে দমন এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) পাকিস্তান সরকারের নিন্দা করে বলেছে, তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানে 'স্বৈরাচারী প্রবণতারই' ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মরিয়ম নওয়াজ এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা পাকিস্তানের আবতাক টিভি, টোয়েন্টিফোর নিউজ এবং ক্যাপিটাল টিভি মরিয়ম নওয়াজের সংবাদ সম্মেলন প্রচার করার পর তিনটি চ্যানেলরই সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে একটি কারিগরী ইস্যু বলে বর্ণনা করেছিল। কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, এটি নির্লজ্জ সেন্সরশীপ ছাড়া আর কিছু নয়। পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছে আরএসএফ। অন্যান্য খবর: পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন? ভারতকে আঘাত হানতে আল-জাওয়াহিরির বার্তা বিটিআরসি, গ্রামীণ ও রবির বিরোধ: গ্রাহক কেন শাস্তিতে মাত্র গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির একটি সাক্ষাৎকার দেখানোর সময় মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে বহু বছর ধরেই এমন অভিযোগ আছে যে সেখানে সামরিক বাহিনী গণমাধ্যমে স্পর্শকাতর এবং সমালোচনামূলক খবর বন্ধে চাপ দিয়ে থাকে। সামরিক বাহিনী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।
পাকিস্তানে যেসব রাজনীতিকের বিচার চলছে কিম্বা সাজা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যমে তাদের সাক্ষাৎকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
আইএস যোদ্ধাদের বিচারের সম্মুখীন করার তাগিদ ট্রাম্পের আইএস'এর বিরুদ্ধে চলা সবশেষ যুদ্ধে ৮০০ জনের বেশি আইএস যোদ্ধা যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পরেছে। ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের বাঘুজ অঞ্চলে আইএস যোদ্ধাদের শেষ ঘাঁটিতে মার্কিন সমর্থিত কুর্দিশ বাহিনীর হামলা চলার সময় এমন টুইট করলেন মি. ট্রাম্প। আটককৃত আইএস যোদ্ধারার বর্তমানে কুর্দিশ সৈন্যদের হেফজতে রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরিই মি. ট্রাম্প বলে আসছেন যে আইএস সাম্রাজ্য 'পতনের মঞ্চ প্রস্তুত।' শামীমার সন্তান প্রসব, নাগরিকত্ব অনিশ্চিত 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ ছাত্রী শামিমা দেশে ফিরতে চান জামায়াতকে কতটা নাড়া দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর আইএস যোদ্ধাদের সম্পর্কে যা বলেছেন ট্রাম্প টুইটে মি. ট্রাম্প লিখেছেন, "এই আইএস যোদ্ধাদের ইউরোপেই যাওয়ার কথা আর সেখানে তারা ছড়িয়ে পড়ুক, তা যুক্তরাষ্ট্র চায় না। অন্যরা যে কাজ করতে সক্ষম তা সম্পন্ন করতে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করি আমরা।" অন্যথায় আটককৃত আইএস সৈন্যদের মুক্ত করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হবে বলে লেখেন মি. ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারাও রবিবার সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছেন যে, তাদের আশঙ্কা আটক হওয়া সৈন্যদের বিচারের আুতাধীন করা না হলে তারা ইউরোপের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার পররাষ্ট বিষয়ক প্রধান অ্যালেক্স ইয়ঙ্গার শুক্রবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সিরিয়ায় পরাজিত হতে থাকলেও নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। জিহাদিরা দক্ষতা অর্জন করে অন্যান্য জঙ্গীদের সাথে সম্পৃক্ততা নিয়ে ইউরোপে ফিরে এসে সেখানকার নিরাপত্তাকে আরো বেশি হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মি. ইয়ঙ্গার। মি. ট্রাম্পের এই টুইট এমন সময় এলো যখন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম, যিনি আইএস যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছেড়ে গিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যে ফেরার আবেদন করেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরো দুজন বান্ধবী সহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। শামীমা বেগম একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে তার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন। ব্রিটেন থেকে যে কয়েকশ মুসলিম ছেলে-মেয়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল, তাদেরকে ফিরে আসতে দেওয়া উচিৎ কি উচিৎ নয়- তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ফিরে আসছে কত সংখ্যক আইএস যোদ্ধা লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্যা স্টাডি র‍্যাডিকালাইজেশনের এক গবেষণা অনুযায়ী, পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলো থেকে প্রায় ৬ হাজার নাগরিক ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়া ও ইরাকে পাড়ি দিয়েছিল। ঐ গবেষণা অনুযায়ীক পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় ১৮০০ জনের মতো আইএস যোদ্ধা এখন পর্যন্ত ফিরে এসেছে। আইএস পতনরে দ্বারপ্রান্তে থাকলেও জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী এখনো ইরাক ও সিরিয়ায় ১৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার সৈন্য রয়েছে তাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ফেরত আসা এই নাগরিকদের অপরাধের তদন্ত, ঝুঁকি মূল্যায়ন, বিচার এবং পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে সিরিয়া ও ইরাকে জন্ম নেয়া শিশুদের যারা এই আইএস যোদ্ধাদের সাথে ইউরোপে প্রবেশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের ঘটনা আলাদা আলাদা করে যাচাই করারও উদ্যোগ নিচ্ছে দেশগুলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যুক্তরাজ্য সহ অ্যামেরিকার ইউরোপীয় মিত্রদের উচিত আটক হওয়া আইএস যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
প্রস্তাবের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, ওই প্রস্তাবটি হচ্ছে ট্রয়ের ঘোড়ার মতো, যা মানবাধিকারের জন্য ক্ষতিকর। এখন পর্যন্ত পাওয়া আংশিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৬৭ শতাংশ ভোটার ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, জানিয়েছে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা এসআরএফ। সমালোচকরা বলছেন, বিশ্বে দেশটির মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই গণভোট। গরু-ছাগলের শিং থাকবে কি থাকবে না, এবং যে কৃষকরা শিং রাখবে, তাদের ভর্তুকি দেয়া হবে, এরকম একটি প্রস্তাবও বাতিল করে দিয়েছেন ভোটাররা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আনা, অভিবাসন সীমিত করা, বিদেশী অপরাধীদের আটক করার মতো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আয়োজন করা গণভোটে সাফল্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই গণভোটটি বড় ধরণের পরাজয় বলে বলছেন এসভিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিন আমাদ্রুজ, দেশটির পার্লামেন্টের বড় এই রাজনৈতিক দলটি প্রস্তাবটি এনেছিল। বিবিসি সংবাদদাতা বলছেন, এই প্রস্তাবটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হতাশা তৈরি করেছিল, যা হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলতে পারতো। তবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, সুইৎজারল্যান্ডের অন্য সব রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী নেতা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গণভোটে 'ইয়েস (হ্যাঁ)' জয়ী হলে সুইৎজারল্যান্ড কে হাজার হাজার চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হতো, এমনকি মানবাধিকার, শিশু অধিকারের অনেক সনদও পুনরায় বিবেচনা করতে হতো। সুইৎজারল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, কোন প্রস্তাবের পক্ষে এক লাখ স্বাক্ষর থাকলে সেটি নিয়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গরুর শিং থাকবে কিনা- সুইজারল্যান্ডে গণভোট ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা মন্দির চেয়ে অযোধ্যায় লাখ হিন্দু, মুসলিমদের আতঙ্ক বিপর্যয়ে পড়েছে পৃথিবীর 'ফুসফুস'
সুইৎজারল্যান্ডের আইনের অবস্থান হবে আন্তর্জাতিক আইন এবং যেকোন চুক্তির ওপরে - এরকম একটি প্রস্তাব গণভোটে নাকচ করে দিয়েছে দেশটির বাসিন্দারা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভিজেন্দার সিং বেইজিং অলিম্পিকেও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। মুম্বাইয়ে ডাব্লিউ বিও ওরিয়েন্টাল সুপার মিডলওয়েট লড়াইয়ে মি. সিং চীনা বক্সার জুলপিকার মাইমাইটিয়ালিকে হারিয়ে গতকালই এই শিরোপা জেতেন। কিন্তু পরে তিনি বলেন, এই বিজয়কে তিনি 'চীন-ভারত মৈত্রী'র উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে চান এবং এর এজন্য বিজয়ীর বেল্টটি তিনি ফেরত দিতে প্রস্তুত বলে জানান। কিন্তু তাঁর চীনা প্রতিপক্ষ সেটি গ্রহণ করবেন কি না, কিংবা বক্সিং কর্তৃপক্ষ আদৌ সেটি হতে দেবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ভারতের ভূখণ্ডের ডোকলাম উপত্যকা এবং চীনের ডংল্যাং উপত্যকার মধ্য দিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ একটি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করলে গত জুন মাস থেকে দু'দেশের মধ্যে বিবাদ বাধে। এই পটভূমিতে মু্ম্বাইয়ের এই বক্সিং ম্যাচটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল ব্যাপক। আর এতে জয়লাভ করার পর ভিজেন্দার সিং দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু চীনের প্রতি তার শান্তির বাণীকে অনেকেই খুব একটা সুনজরে দেখছেন না। যোগ ব্যায়াম গুরু বাবা রামদেভ এই ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেছেন, "চীন মুম্বাইতে গো-হারা হেরেছে, একই ঘটনা ঘটবে ডোকলামেও।" ভারত আশংকা করছে, ডোকলাম এলাকায় ঐ সড়কটি নির্মিত হলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে মুল ভারতের সংযোগ রক্ষাকারী 'চিকেন্স নেক' নামে পরিচিত ২০ কি.মি প্রস্থের গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ডের ওপর চীনের প্রভাব আরো বাড়বে। আরো দেখতে পারেন:
ভারত আর চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ভারতীয় বক্সার ভিজেন্দার সিং তাঁর চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপার বেল্টটি চীনা প্রতিপক্ষকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পেঁয়াজকে ভারতে রাজনৈতিক সবজিও বলা হয় কিন্তু মাঝেমধ্যেই এটি খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং এর দাম ওঠানামাকে কেন্দ্র করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকের ক্যারিয়ারও হুমকির মুখে পড়ে যায়। সঙ্গত কারণেই এবারেও পেঁয়াজের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজনীতিকদের অনেকেই। কিন্তু আসলে ভারতে পেঁয়াজ নিয়ে হচ্ছে কী? এক কথায় দাম বেড়েই চলেছে। গত অগাস্ট থেকেই ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তখন এক কেজির দাম ছিলো পঁচিশ রুপি। আর অক্টোবরের শুরুতে এর দাম উঠেছে আশি রুপিতে। সংকট মোকাবেলায় বিজেপি সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমে আসে। এবং হয়েছেও তাই। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে এশিয়ার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ত্রিশ রুপির নীচে। তবে তাতেও সবাই খুশী নয়। একদিকে উচ্চমূল্যে যেমন ভোক্তারা ক্ষুব্ধ তেমনি দাম কমায় ক্ষুব্ধ রপ্তানিকারক ও কৃষকরা। অন্যদিকে রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। আবার এটি শুধু ভারতের বিষয়ই না, রপ্তানি বন্ধ করায় সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেরও সাথেও। বাংলাদেশ ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পেঁয়াজ নিয়ে চমকপ্রদ ৯ টি তথ্য হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি, সমাধান কোথায়? পেঁয়াজ সংকট কাটাতে সরকার কি দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে? দাম বাড়ায় রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার পেঁয়াজ কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয়দের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ। "মহারাষ্ট্রে আর কোনো সবজি না পাওয়া গেলে মানুষ রুটির সাথে পেঁয়াজ যাকে কানডা ভাকারি বলে তা খায়,"বলছিলেন খাদ্য গবেষক ড: মোহসেনা মুকাদাম। তবে দেশটির কিছু অংশে কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায় পেঁয়াজ খায়না। কিন্তু উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এটি খুবই জনপ্রিয়। আর এসব এলাকা থেকেই বেশির ভাগ এমপি ভারতীয় সংসদে যান নির্বাচিত হয়ে। গবেষক মিলিন্দ মুরুগকারের মতে এটিই সরকারকে চাপে ফেলে দেয়। আবার দাম কমে গেলেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে। পেঁয়াজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এমন একজন সাংবাদিক দিপ্তি রাউত বলছেন কৃষকদের জন্য মাঝে মধ্যে এটি এটিএম মেশিনের মতো এবং তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়টি নির্ভর করে পেঁয়াজ উৎপাদনের ওপর। পেঁয়াজ মাঝে মধ্যে ডাকাতের কবলেও পড়ে। ২০১৩ সালে দাম অনেক বেড়ে গেলে ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ চুরির চেষ্টা হয়েছিলো যদিও পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে ডাকাতরা। অনেক জায়গায় ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ রাজনীতিবিদরা কেনো এতো গুরুত্ব দেন পেঁয়াজকে এর কারণটা সহজ। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যেমন প্রয়োজনীয় এটি তেমনি কৃষকরাও এর উপরই নির্ভর করেন। ফলে নির্বাচনী প্রচারেও বিষয়টি উঠে আসে গুরুত্ব সহকারে। যখন দাম বাড়ে তখন দিল্লী রাজ্য সরকার পেঁয়াজ কিনে তা ভর্তুকি দিয়ে কম দামে বিক্রি করে। এমনকি পূর্ববর্তী সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতা বিশেষ করে পেঁয়াজে ভর করে ১৯৮০ সালে ক্ষমতায়ও এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দিল্লী সরকার পেঁয়াজ কিনে কম দামে বিক্রি করছে এবার দাম বাড়লো কেনো? সরবরাহ কম এবং এর কারণ হলো অতিবৃষ্টি ও বন্যা। মজুদে থাকা অন্তত ৩৫ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হওয়ার তথ্য দিয়েছেন ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনের ডিরেক্টর নানাসাহেব পাটিল। তিনি বলেন বন্যার পানি দ্বিতীয় ধাপের উৎপাদনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ফলে সেপ্টেম্বরে প্রত্যাশিত পেঁয়াজ আসেনি। মিস্টার মুরুগকার বলছেন সাম্প্রতিক সময়ে এটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পেঁয়াজ ভারতে খুবই জনপ্রিয় সবজি সমাধান কোথায়? মিজ রাউত বলছেন সংরক্ষণ সুবিধা উন্নত করার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যন্ত সঠিক পরিকল্পনা দরকার। মহারাষ্ট্রের একজন কৃষক ভিকাশ দারেকার বলছেন, "দাম বেড়ে গেলে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু দাম কমে গেলে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়না কেন?" তিনি বলেন রপ্তানি বন্ধ করা উচিত নয় যদি সরকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে চায়। "কখনো কি সফটওয়্যার রপ্তানির ওপর এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়?" আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে তরল গ্যাস ঢাকার জেনেভা ক্যাম্পে বিক্ষোভ; দফায় দফায় সংঘর্ষ খালেদা জিয়া: জামিন আর প্যারোল নিয়ে টানাহেঁচড়া
পেঁয়াজ-ভারতীয় রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বিশেষ করে নিম্নবিত্তের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)। আল জাজিরার এই অনুসন্ধানে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদের অতীত এবং বর্তমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয় এবং নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার'স মেন' নামের এই প্রতিবেদনটি গতকাল প্রথম প্রচার করার পর থেকে এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কঠোর ভাষায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে, সু চি কোথায় বাংলাদেশে কেন হঠাৎ বিদেশি মদের সংকট? আল জাজিরার প্রায় এক ঘণ্টার এই প্রতিবেদনে মূলত বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তার তিন ভাই-এর কার্যক্রম দেখানো হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের আপন তিন ভাই ২০০৪ সালে একটি হত্যাকাণ্ডের অপরাধে আদালতে দণ্ডিত হয়েছিল। এই ভাইদের মধ্যে আনিস আহমেদ এবং হারিস আহমেদ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তৃতীয় ভাই, তোফায়েল আহমেদ জোসেফ, যিনি হত্যার অপরাধে কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হন। লাল গোল চিহ্নিত ব্যক্তি আনিস আহমেদ, তার বাঁ পাশে হারিস আহমেদ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ঢাকাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের দেখা গেছে (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাজার ছেয়ে গেছে ভেজাল মদে, যা জানা প্রয়োজন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের, জরুরি বৈঠকে বসবে জাতিসংঘ যদিও দুই ভাই হারিস আহমেদ এবং আনিস আহমেদ পলাতক, কিন্তু আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে হারিস আহমেদ এবং আনিস আহমেদকে জেনারেল আজিজ আহমেদের ছেলের বিয়েতে বাংলাদেশে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে দেখানো হয় আনিস আহমেদ থাকেন কুয়ালা লামপুরে আর হারিস আহমেদ আছেন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে। কী ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে? প্রতিবেদনে গোপন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বুদাপেস্ট-এ হারিস আহমেদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। কুয়ালালামপুরে হারিস আহমেদ এবং আনিস আহমেদের বাড়ির তথ্য (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)। তিনি নাম পরিবর্তন করে হাসান মোহাম্মদ নাম নিয়ে বিভিন্ন দেশে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন সেটা দেখানো হয়েছে। বুদাপেস্টে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সাথে এক কথোপকথনে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বুলেট সরবরাহের কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। আল জাজিরার ঐ প্রতিবেদনে হারিস আহমেদকে বলতে শোনা গেছে পুলিশের চাকরি, যেমন থানার ওসির পদ, পেতে কত টাকা নেয়া হয় । তিনি সেখানে বলছেন, এক্ষেত্রে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। হারিস আহমেদর ব্যবসায়ের নথিপত্র (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)। এই কাজে সরকারের শীর্ষ স্থানের লোক জড়িত থাকেন বলে হারিস আহমেদ উল্লেখ করেন। এই বিষয়ে আরো পড়ুন: ইসরায়েল থেকে 'নজরদারী প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ': আল জাজিরা এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনী ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন নজরদারি করার প্রযুক্তি ইসরায়েল থেকে আমদানি করেছে এমন কিছু নথিপত্র দেখানো হয়েছে। তবে এই ক্রয়ের সাথে হারিস আহমেদের কোন যোগাযোগের কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয় নি। বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে কঠোর ভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে: "এটা পরিষ্কার না যাদের পূর্বে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে তাদের সঙ্গে কীভাবে আল জাজিরার মত আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল যুক্ত হল। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন অফিসিয়াল, সামাজিক, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের ক্লিপ ব্যবহার করে। বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন অনুষ্ঠানের দৃশ্য একত্রিত করে সম্পাদনা করে কণ্ঠ দেয়া হয়েছে।" বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা ও অবমাননাকর হিসেবে বর্ণনা করেছে । বুদাপেস্টে হারিস আহমেদ (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ এক বিবৃতিতে, একে লন্ডন ও অন্যান্য জায়গায় সক্রিয় উগ্রপন্থী ও তাদের সহযোগীদের উসকানিতে বেপরোয়া ও নোংরা অপপ্রচার বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করছে। আরও বলা হয়, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে জামায়াতে ইসলামীর মদদ-পুষ্ট কতিপয় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক অপরাধী এবং কুখ্যাত ব্যক্তি তাদের চিরাচরিত ছকে যে ধরনের বাংলাদেশ-বিরোধী অপপ্রচার চালায়, এই রিপোর্টটিও সেই শ্রেণির। এরা বিভিন্ন উগ্রপন্থী আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে আল জাজিরার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আল জাজিরার প্রতিবেদনের অভিযোগগুলোর মূল সূত্র একজন সন্দেহভাজন আন্তর্জাতিক অপরাধী, যাকে আল জাজিরা নিজেই 'সাইকোপ্যাথ' আখ্যা দিয়েছে। ''প্রধানমন্ত্রী বা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই বিশেষ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার সামান্যতম প্রমাণও নেই। আর মানসিক ভারসাম্যহীন কারও কথার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেলের জন্য চরম দায়িত্ব-হীনতা'' বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
কাতার-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা গতকাল সোমবার বাংলাদেশ নিয়ে এক অনুসন্ধানী প্রামাণ্য চিত্রে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর বাংলাদেশ সরকার আজ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাংলাদেশের ইটের ভাটাগুলোয় কাজ করে বহু শিশু-কিশোর শ্রমিক তারা বলছেন, নিহত ১৩ জন শ্রমিকের বেশিরভাগই ছিল বড়জোর ১৫-১৬ বছর বয়সী কিশোর - যাদের সবাইকে নীলফামারির একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ঠিকাদারেরা নিয়ে এসেছিলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এই এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশ' ইটভাটায় বিপুল পরিমাণে শিশু-কিশোর শ্রমিক কাজ করে। বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা থেকেও একই ধরণের অভিযোগ শোনা যায়। বিশেষ করে ইটের ভাটায় এত শিশু-কিশোর শ্রমিক কাজ করতে আসে কেন? বাংলাদেশের আইনে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কোন প্রকার কাজে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবশেষ সংশোধিত শ্রম আইনে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে বলা হয়েছে। কিশোর শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ধরণ ও ঘন্টা নিয়ে আইনী বাধ্যবাধকতা থাকলেও - অনেক ইটের ভাটাতেই সেগুলো মানা হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ইটের ভাটায় উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা কাজ করতে আসে নিহতদের একজন ১৬ বছর বয়েসী তরুণচন্দ্র রায়। তার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে। তার কাকা হেরম্বচন্দ্র রায় বিবিসি বলছিলেন, গত কয়েক বছর ধরেই এ মৌসুমে কুমিল্লায় কাজ করতে যেতো তরুণ। প্রাণে বেঁচে যাওয়া একজন শ্রমিক সঞ্জীবচন্দ্র রায়, যিনি তার তার বড় ভাইকে এ দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, ঘুমন্ত শ্রমিকদের এত কাছে ট্রাক থেকে কয়লা নামানোর আগে তাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলে হয়তো তাদের এভাবে মারা পড়তে হতো না। "আমাদের যদি ডাক দিতো তাহলে আমরা অবশ্যই বাঁচতাম। আমি পেশাব করতে না উঠলে অবশ্যই আমিও মারা যাইতাম হয়।" নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জনের বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর এবং অনেকে স্কুল পড়ুয়া বলে জানান সঞ্জীব চন্দ্র রায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ঘুমিয়ে থাকা ১৩ শ্রমিক নিহত: ঘটনা ঘটলো যেভাবে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরিতে বাধা কোথায়? ইটভাটাগুলোয় শ্রম আইন মানা হচ্ছে না, এ অভিযোগ অনেকের কুমিল্লায় স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছরের এই সময়টায় ইটভাটাগুলোয় কাজ করতে প্রচুর মৌসুমী শ্রমিক আসেন উত্তরবঙ্গ থেকে। নিহতরা সবাই নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার। স্থানীয় সাংবাদিক মাশুক আলতাফ চৌধুরী বলছিলেন, কিভাবে এখানে শিশু শ্রম ব্যবহৃত হয়। "যে ঠিকাদাররা শ্রমিক সরবরাহ করে তাদের দৈনিক মজুরি তারা নির্ধারণ করে। মালিকের কাছ থেকে তারা যে অর্থ নেয় - শ্রমিকদের জন্য তারচেয়ে কম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। তারা একজন সর্দারের অধীনে কাজ করে এবং সর্দাররাও পারিশ্রমিকের কিছু অংশ নিয়ে নেয়" - জানান মি. চৌধুরী। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নূরুল ইসলাম বলছিলেন তারা নিহতদের সবার বয়স এখনো নির্ধারণ করতে পারেন নি। বাড়তি আয়ের জন্যই উত্তরবঙ্গ থেকে ইটভাটায় কাজ করতে আসেন এই শ্রমিকেরা তিনি বলছেন, "প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে নিহত সকলের বয়স ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে ছিল। যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে তারা তিন দিনের মদ্যে আমাদের জানাবে।" তবে বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান বাবুল ইটভাটায় কিশোর শ্রমিক ব্যবহারে বিষয়টি স্বীকার করে বলে, তারা এর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছেন। তার কথা - "শ্রমিকরাই তাদের কিশোর ছেলেদের নিয়ে আসে। তাদের কাজ দিতে মারা করলে তারা নিজেরাও কাজ করতে চায় না। বাচ্চারা একেবারেই কাজ করবে না এটা পুরোপুরি এখনো হয় নাই, আশা করছি অচিরেই হয়ে যাবে।" হেরম্বচন্দ্র রায়ের মতো নিহতদের স্বজনরা এখন বলছেন, শিশুকিশোরদের কাজে পাঠানোর ব্যাপারে এখন দ্বিতীয়বার ভাববেন তারা।
কুমিল্লায় একটি ইটভাটায় কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে গিয়ে ১৩ জন ঘুমন্ত শ্রমিক নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটির পর অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা করেছেন স্বজনদের কয়েকজন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গোপালগঞ্জের উলপুর গ্রামে যারা আছে তারাও দোটানায়, শান্তিতে নেই। গোপালগঞ্জ জেলার উলপুর গ্রামের কালীমন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্য। জমিদার হিমাংশু রায়ের রেখে যাওয়া বাড়িতেই জন্ম তাঁর। সপরিবারে এই পুরোনো বাড়িতেই এখনো বসবাস করছেন। সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্য বলছিলেন, এক সময় উলপুর গ্রামটি ছিল শত ভাগ হিন্দু অধ্যুষিত। কিন্তু এখন হিন্দুদের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে, গ্রামের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম। “হিন্দুদের যাওয়ার গতি দেখে মনে হচ্ছে এখনো অনেকে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে”, বলছিলেন তিনি। কিন্তু কারণটা আসলে কি? কেন হিন্দুরা দেশ ছাড়ছেন? “কারণ... হয়তো এখানে তাদের স্বাধীনতা নেই। সেটাই মনে করে।” গ্রামের বাজারে কাঁচি হাতে চুল কাটায় ব্যস্ত ক্ষৌরকার নিখিল সরকার। গত ৪০ বছর ধরে এটাই তার পেশা। তিনি বলছিলেন, মূলত নিরাপত্তার কথা ভেবেই অনেকেই ভারতে পাড়ি জমানোর একটা পথ খোলা রাখেন। “মনে করেন যে এই পাশেও আছে, আবার হয়তো ঐ পাশেও (ভারতে) ছেলে-পেলে পাঠায়ে দেছে, ভাই-বেরাদার পাঠায়ে দেছে। অহনে এখানে যারা আছে, তারা শান্তিতে নাই, একটা দোটানার মধ্যে আছে।” এই শান্ত সবুজ গ্রামটার বিভিন্ন পাড়ায় চোখে পড়বে অনেক পুরনো দালান-কোঠা। আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট এসব বাড়ী ঘরে। এক সময়ের হিন্দু জমিদার এবং সম্ভ্রান্ত অনেক হিন্দু পরিবার তাদের এসব ভিটে-বাড়ী ফেলে একদিন পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতে। উলপুরের বিভিন্ন জায়গায় ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু জমিদারদের অনেক পরিত্যক্ত বনেদি বাড়ী। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর এই দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল। সেই ধারা এখনো থামেনি। বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ আদম শুমারির হিসেবেই গোপালগঞ্জ জেলায় গত দশ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে প্রায় ১৮ হাজার। সারা দেশে এই সংখ্যায় প্রায় নয় লাখ। উলপুর দক্ষিণপাড়ার রায় বাড়িতে বসে এই সমস্যা নিয়ে কথা হচ্ছিল কয়েকজন গৃহিনীর সঙ্গে। “ভবিষ্যতে চলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে। এদের ছেলে-মেয়েদের আর এদেশে রাখার ইচ্ছে নাই”, বলছিলেন একজন। “আমারও ঐ একই কথা। আমাগো দিন তো চলি গেল। কিন্তু আমাগো যে নাতি-পুতি, এগো ভবিষ্যত তো এই জায়গায় হবি না,” বললেন তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক জন। পুরোনো জীর্ণ বাড়ীর সামনে উলপুরের মন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ ভট্টাচার্য আলাপে আলাপে উঠে আসে তাদের নিরাপত্তাহীনতা আর আতংকের বিষয়গুলি। দেশ ছাড়ার এরকম ইঙ্গিত থাকলেও ভারতে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়ার আগে কেউই বিষয়টি প্রকাশ করতে চান না। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ বলছিলেন কিভাবে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমছে। “১৯৫১ সালে যে আদমশুমারি ছিল তাতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে আসলো ১৪ শতাংশে। আর সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশে।” “দেশ ছাড়া কোন সমাধান নয়। আমাকে আমার মাতৃভূমিতে শক্ত করে দাঁড়াতে হবে। আমার কথাটি শক্ত করে বলতে হবে।” পুজার ঢোল বাজছে, সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দূর্গোৎসবে সামিল হয়েছেন। এবার পুজা মন্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। কিন্তু এই উৎসবের আনন্দের মাঝেও সবাই জানেন, প্রতি বছর মন্ডপে পুজারির সংখ্যা কমছে, হারিয়ে যাচ্ছে অনেক চেনা মুখ।
বাংলাদেশে সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী হিন্দু জনসংখ্যা প্রতি বছরই কমছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় বৈষম্য এবং নির্যাতনের মুখে এদের বেশিরভাগই ভারতে চলে যাচ্ছেন। হিন্দুদের দেশ ছাড়ার কারণ খুঁজতে গোপালগঞ্জের এক হিন্দু অধ্যূষিত গ্রামে গিয়েছিলেন বিবিসির আবুল কালাম আজাদ:
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্যাম আচার্য্য নামে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য একজন ভারতীয় ডাক্তারের পরিচয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র চুরির অভিযোগ করা হয়েছে। মি. আচার্য্য যে ভারতীয় ডাক্তারের পরিচয় ব্যবহার করেছেন তার নাম সারাঙ চিতালে। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে। আরো পড়তে পারেন: হ্যাকিং নিয়ে ঝামেলায় সিআইএ সৌদিতে আসছে নতুন ইমিগ্রেশন আইন: বিপদের মুখে ৫০ লক্ষ অভিবাসী শরণার্থী হতে গিয়ে জাপানে প্রতারণার শিকার দুই বাংলাদেশি ঐ ভুয়া ডাক্তার ২০০৩ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানকার চারটি হাসপাতালে কাজ করেছেন। এর মধ্যে দুটি হাসপাতাল ছিল সিডনি শহরে। এমনকি এই সময়ের মধ্যে তাকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বও দেয়া হয়। তবে মি. আচার্য্যর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে কখনই কোন অভিযোগ ছিল না। নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সচিব ক্যারেন ক্রশো বলছেন, মি. আচার্য্য হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তার হিসেবে কাজ করেছেন। ফলে তার সব কাজকর্ম তদারকি করা হতো। এই ভুয়া ডাক্তার কিভাবে নাগরিকত্ব পেল অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এখন তা তদন্ত করে দেখছে। তবে পুলিশ তার নাগাল পাওয়ার আগেই তিনি অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা এক ভুয়া ডাক্তার অস্ট্রেলিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে কাজ করার পর পালিয়ে গিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মমিনুল হক বাংলাদেশ টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়ক। এ মাসের শেষ সপ্তাহে একটি পূর্বনির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলংকা যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সফরের সময়ে খেলা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সদস্যদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে স্বাগতিক দেশটি। বাকী শর্তগুলো হচ্ছে: আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ক্রিকেটে 'পঞ্চপাণ্ডব' অধ্যায় কি শেষের দিকে? কন্যার ছবিতে বাজে মন্তব্য করা নিয়ে যা বললেন সাকিবের স্ত্রী শিশির রিভার্স সুইং: ক্রিকেট বিশ্বের ব্ল্যাক ম্যাজিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মাশরাফী সহ আরও দুই ক্রিকেটার নাজমুল হাসান পাপন এসব শর্ত মানতে গেলে বাংলাদেশ দল স্বভাবতই সেখানে অনুশীল করতে পারবে না। তাদেরকে সরাসরি মাঠে নামতে হবে। এসব শর্ত মেনে দেশটিতে যেতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড । যদিও দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। নাজমুল হাসান বলছেন, "ওরা যে কথা বলেছে, তা মেনে এখন টেস্ট খেলা সম্ভব না"। "আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি। এখন ওদের জবাবের অপেক্ষায় আছি"। এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল জাতীয় দল, হাই পারফরম্যান্স দলের ক্রিকেটার ও সহযোগীদের মিলিয়ে মোট ৬৫ জনের একটি দল পাঠাতে চায় শ্রীলঙ্কায়। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, জাতীয় দল ও এইচপি দল একসঙ্গে সফরে যাবে, সেখানে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। প্রথমে যে পরিকল্পনা ছিল তাতে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় যদি সদস্যরা নেগেটিভ হয় তবেই যাবে। এর আগে বাংলাদেশ সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল সাত মাস আগে। জিম্বাবুয়ের সাথে সেই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্চ মাসে বাংলাদেশে। ওই সিরিজের তিন ফর্মেটেরই সবগুলো ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। আরো খবর: মৃত্যুর সংখ্যায় করোনাভাইরাসের উৎস দেশ চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ যে চারটি অভিযোগে কুয়েতে বিচার হতে যাচ্ছে এমপি পাপুলের সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল বৃদ্ধি, বাংলাদেশের উদ্বেগ মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার ছবিতে বোরকা নিয়ে বিতর্ক যে কারণে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচের জন্য শ্রীলঙ্কা তাদের দেশে যেসব শর্ত দিয়েছে তা মেনে খেলা সম্ভব হবে না বাংলাদেশের।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলা একাডেমিতে ২০২০এর ফেব্রুয়ারির বইমেলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমির - তবে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রতি বছর পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাস ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশ জুড়ে এই মেলা হয়ে থাকে। ২০২১এর বইমেলা অনলাইনে করার পরিকল্পনা করছে বাংলা একাডেমি তিনি বলছেন, অনলাইনে এই মেলা কীভাবে আয়োজন করা যায় সেটা নিয়ে তারা এখন পরিকল্পনা করছেন। মি. সিরাজী বলেন, পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতই বাংলাদেশেও শীতের সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে এবং বই মেলাতে যেহেতু বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয় - তাই সংক্রমণ যেন আরো বেশি ছড়িয়ে না পড়ে সেই বিবেচনা থেকেই অনলাইনে বইমেলা করার পরিকল্পনা করছেন তারা। তবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর আগামী বছরেই কোন এক সুবিধাজনক সময়ে প্রাঙ্গণে বই মেলা আয়োজনের চিন্তা তাদের আছে। প্রতি বছর বাংলা একাডেমির 'অমর একুশে বই মেলয়' লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে থাকে। আরো পড়তে পারেন: একুশের বইমেলায় ভিন্নমতের বই কতটা বেরুচ্ছে?
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সালের একুশে বই মেলা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজন না করে অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
২১শে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবিস্ফোরিত একটি গ্রেনেড বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন। আহত হন চারশোর বেশি নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। শুরু থেকেই এ হামলার জন্য প্রতিপক্ষ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বকেই দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। তবে ২০০৮ সালে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয় যাতে বিএনপি সরকারের একজন উপমন্ত্রী, তার ভাইসহ ২২ জনকে এ ঘটনার জন্য আসামী করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকতর তদন্ত হয়। এ তদন্তের পর আসামী করা হয় বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও ত্রিশ জনকে। বিএনপির তরফ থেকে বরাবরই এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হচ্ছে। অর্থাৎ এ ঘটনায় দল দুটির মধ্যে বিরোধ আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু সেটা কতটা? সেটি কি দল দুটির মধ্যে যে কোন ধরনের আপোষ বা সমঝোতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমানুল্লাহ কবীর বিবিসি বাংলার রাকিব হাসনাতের সঙ্গে আলাপকালে বলছিলেন, 'রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, এক দলের সঙ্গে আরেক দলের মতবিরোধ থাকবে। কিন্তু এটা যে সহিংস পর্যায়ে পৌঁছবে এইটা কিন্তু আশা করা যায়নি।" "একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার পর এটা কিন্তু এটা সহিংস পর্যায়ে চলে গেছে। এখন যে পরস্পরের বিরুদ্ধে পরস্পর যে অভিযোগ করছে এটার মীমাংসা আমি সহজে কোথাও দেখছি না। আর এর মীমাংসা না হলে সমঝোতাও হবে বলে মনে হয় না"। ২০০৪সালের ২১শে অগাস্ট, আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর সেখানে হতাহতরা পড়ে আছেন। "আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেকানে সহিংসতা রাজনীতিতে জড়িত হয়ে গেছে। এই যে সহিংসতা রাজনীতিতে, তারা এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে কোনো পর্যায়ে চলে যেতে পারে" বলেন আমানুল্লাহ কবীর। মি: কবীর আরো বলেন "যারা তখন ক্ষমতায় ছিল তাদের ওপর গ্রেনেড হামলার দায়টা বর্তায়। আর এই দায় বিএনপির ওপর বর্তায় এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই"। "দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্রে প্রভাব পড়বে, দেশ ও দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। একটা অস্থিতিশীলতা সবসময় থেকে যাবে"। "ওই হামলা নি:সন্দেহে দুই দলের সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। আর যখন রায় বের হবে তখন কী হবে সেটা নিয়ে কিন্তু শঙ্কা রয়ে গেছে" বলেন মি: কবীর। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ইটালির রাস্তা পরিষ্কার করছে নাইজেরিয়ার অভিবাসীরা তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে মার্কিন রণতরীর সংঘর্ষ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা আইসল্যান্ডের নিজস্ব টয়লেট পেপারের ব্যবসা লাটে
২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট, ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নানা ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে ধর্মীয় সহিংসতার পেছনে কারণ বোঝার চেষ্টা করছে সফটওয়্যার। গোত্র বা সম্প্রদায়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার মতো করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগরিদম তৈরি করে আচরণ বোঝার চেষ্টা করছেন। এজন্য নানা গোত্র, বর্ণ এবং ধর্মের হাজার হাজার মানুষের আচরণের অসংখ্য নমুনা তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো বিশ্লেষণ সফটওয়্যারটি কাজ করছে। নরওয়ে এবং শ্লোভাকিয়া মতো ক্রিশ্চিয়ান প্রধান দেশগুলোয় মুসলিম অভিবাসীরা বসবাস শুরু করার পর উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হলে, সেটি সামলাতে প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আশা করছেন, লন্ডনের সন্ত্রাসী হামলার মতো কোন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্লেষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এই পদ্ধতি সরকারকে সহায়তা করবে। তবে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নন, এমন একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোয়েল সারকে বলছেন, বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি সামলাতে হলে এই প্রযুক্তির পেছনে আরো কাজ করতে হবে। ''এটা সত্যিকার অর্থে একটি উপকারী গবেষণা হবে, যখন এটি মানুষের চিন্তার মতো পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন ধর্মীয় সহিংসতার নানা উপাদান বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে।'' বলছেন অধ্যাপক সারকে। সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক একটি সাময়িকীকে এই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি যে কারণে এই আইরিশ গায়িকা মুসলমান হলেন দুর্গা পূজা যেভাবে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো গভীর বিশ্বাস এই গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো ঘটনায় নানা ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলা করেছে। আবার কোন কোন পরিস্থিতিতে এই মানুষরাই সহিংস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যখন অন্য কোন দলের বা সম্প্রদায়ের মানুষ একদলের মৌলিক বিশ্বাস বা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তখনি এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার বিষয়টিও উদাহরণ হিসাবে নেয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে তিনদিনের দাঙ্গায় দুই হাজার মানুষ নিহত হয়। মনো তত্ত্ব নর্দান আয়ারল্যান্ডের সহিংসতা নিয়েও এই প্রকল্পে গবেষণা করা হচ্ছে গবেষক জাস্টিন লেন বলছেন, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির জন্য মানুষের মনো তত্ত্বও আমাদের বুঝতে হয়েছে। কারণ ধর্ম বা সংস্কৃতির গোঁড়ায় রয়েছে মানসিক ধ্যানধারণার বিষয়টি। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যখন একদল মানুষের ধর্মবিশ্বাস বা মূল্যবোধের ওপর বারবার আঘাত করা হয়, তখন ধর্মীয় সহিংসতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তারপরেও যাদের মডেল হিসাবে নেয়া হয়েছে, তার মাত্র কুড়ি শতাংশ সহিংসতায় জড়িয়েছে। ''ধর্মীয় সহিংসতা আমাদের মৌলিক আচরণ নয়- সত্যিকার অর্থে আমাদের ইতিহাসে এর উদাহরণ খুবই কম'' বলছেন মি. লেন। ''এটা শুধুমাত্র তখনি ঘটে যখন মানুষের গভীর বিশ্বাসকে আঘাত করা হয় অথবা তারা মনে করে, তাদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তখন সেটি রাগ বা সহিংসতার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। '' ''আমরা হয়তো অন্যদের ধর্মবিশ্বাস সহজেই গ্রহণ করার জন্য আমাদের মানসিকতা বদলাতে সহায়তা করতে পারি।'' তিনি বলছেন। অন্যদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা গবেষকরা বলছেন, ধর্মীয় সহিংসতা বা সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে অন্য গোত্রের মানুষকে হুমকি হিসাবে ভাবা না হয়। সবচেয়ে ঝুঁকির তৈরি হয় যখন দুইটি সম্প্রদায়ের আকার অনেকটা একই রকমের হয় এবং তারা প্রতিদিনই নানাভাবে একে অপরের মুখোমুখি হন। অথচ একে অপরকে বিপদের বা হুমকির কারণ বলে মনে করেন। এ ধরণের মুখোমুখি হওয়া সামনাসামনি দেখা হওয়ার মতো নাও হতে পারে। হয়তো সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে পরস্পর মুখোমুখি হচ্ছে। মি লেন বলছেন, ''আমরা হয়তো নিজেদের তথ্য জগতে বসবাস করি, কিন্তু অন্যসব মানুষ সম্পর্কেও আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি, যা নানাভাবে আমাদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু হয়তো সেখানে সত্যিকারের মানুষের কোন ভূমিকাই নেই।'' ''ফলে শুধুমাত্র হুমকির ধারণাটাই অনেক সময় সত্যিকার হুমকির মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।''
মানব সমাজের আদলে তৈরি করা একটি সফটওয়্যার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে যে, সেটি ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে কিনা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আসামের ধুবড়িতে চরাঞ্চলের মানুষজন আসামে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নদীদ্বীপ বা চরাঞ্চলে যে বাংলাভাষী মুসলিমরা বসবাস করেন, তাদেরই 'মিঁয়া' বলে অভিহিত করা হয় এবং ওই জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যেই ওই সংগ্রহশালা গড়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি সে প্রস্তাব প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করলেও আসাম সরকার এখন জানিয়ে দিয়েছে আসামের চরাঞ্চলে আলাদা কোনও সংস্কৃতি আছে বলে তারা বিশ্বাস করে না - আর তাই রাজধানী গুয়াহাটিতে কোনও 'মিঁয়া মিউজিয়াম' গড়ারও প্রশ্ন ওঠে না। আসামের সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এমনও মন্তব্য করেছেন, "চরাঞ্চলের মানুষ মূলত বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, কাজেই আসামের সংস্কৃতির যে পীঠস্থান সেখানে (তাদের স্থান দিয়ে) কোনও বিকৃতি সহ্য করা হবে না।" প্রসঙ্গত, আসামে নব্য-বৈষ্ণববাদী সংস্কারের রূপকার হিসেবে যাকে গণ্য করা হয়, সেই শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নামাঙ্কিত একটি সুবিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে রাজধানী গুয়াহাটিতে - যার ঘোষিত লক্ষ্যই হল ''আসামের মানুষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসার''। আসামের শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে পুঁথি রচনায় ব্যস্ত একজন হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞ। জুন, ২০১৯ আরও পড়তে পারেন: আসাম এনআরসি: বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ কতটা? মুসলিমদের 'মিঞা কবিতা' নিয়ে আসামে বিতর্ক কেন? আসামে নাগরিকত্ব হারানোদের সামনে জটিল দীর্ঘ পথ 'কলাক্ষেত্র' নামে পরিচিত এই কেন্দ্রটিতে যাতে রাজ্যের চরাঞ্চল বা চর-চাপোরির বাসিন্দাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিও ঠাঁই পায়, সেই অনুরোধ জানিয়ে দিনদশেক আগে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি লেখেন নিম্ন আসামের বাঘবার আসনের এমএলএ শেরমান আলি আহমেদ। কিন্তু এরপরই চিঠিটি জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেন রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা - এবং সরাসরি ঘোষণা করেন, শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে কোনও 'মিঁয়া মিউজিয়ামে'র জায়গা হবে না। তিনি বলেন, "আসাম সরকারের সুষ্পষ্ট নীতি হল এই কলাক্ষেত্রে মিঁয়া মিউজিয়াম বা এই ধরনের অন্য কোনও সংগ্রহশালাই স্থাপন করা যাবে না।" "সরকারের সংগ্রহশালা বা অন্য কোনও বিভাগ যে কোনও মিঁয়া মিউজিয়াম গড়তে পারবে না, সে ব্যাপারে আমরা আপসবিহীন অবস্থান নিয়েছি।" হিমন্ত বিশ্বশর্মা চরাঞ্চলের বাঙালি মুসলিমদের অবমাননাসূচক বর্ণনা হিসেবেই এতকাল 'মিঁয়া' শব্দটি আসামে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। তবে এখন নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতিকে বর্ণনা করতে গিয়ে মিঁয়ারা নিজেরাই এই শব্দটি ব্যবহার করছেন - তারা লিখছেন মিঁয়াকাব্য, মিঁয়াগান। এমনই একজন সুপরিচিত মিঁয়াকবি, গুয়াহাটির রেহনা সুলতানা বিবিসিকে বলছিলেন, "আমার একটাই কথা, চর-চাপোরির বাসিন্দা, তাদের আপনি মিঁয়াই বলুন বা অন্য যা-কিছু, তারা কিন্তু নিজেদের একশোভাগ আসামের লোক বলে ভাবেন।" "এখন আসামে যেমন রাভা-হাজং ইত্যাদি নানা জাতি বা জনগোষ্ঠী আছে, তেমনি মিঁয়া-রাও একটি জনগোষ্ঠী। আর তাদেরও একটা খুব সমৃদ্ধ কৃষ্টি-সংস্কৃতি আছে, যেটা রক্ষা করা দরকার।" রেহনা সুলতানা "অসমিয়া সংস্কৃতি তো বহু জাতি ও জনগোষ্ঠীর আলাদা আলাদা সংস্কৃতির মিশ্রণেই গঠিত।" "এখন মিঁয়ারা যদি নিজেদের অসমিয়া বলেই ভাবেন এবং আসামের মূল ধারাও তাদের সেই স্বীকৃতিটা দেয়, তাহলে তাদের কলাকৃষ্টি সংরক্ষণে আপত্তি কোথায় এটাই আমার মাথায় ঢোকে না!", বলছিলেন ড: সুলতানা। ঘটনা হল, প্রায় আট মাস আগেই কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি চরাঞ্চলের মানুষের জন্য আলাদা একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে সেই উদ্যোগে যুক্তও ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপিকা পারভিন সুলতানা। আসামের ধুবড়ি থেকে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "ওই কমিটি কিন্তু মূলত চরাঞ্চল বা নদীদ্বীপগুলোতে বসবাসকারী মানুষের জীবনশৈলী রক্ষা করার কথাই বলেছিল - এক্সক্লুসিভলি মিঁয়াদের মিউজিয়াম গড়ার কথাটা তখন আসেনি।" "তার কারণ এ রাজ্যের চরাঞ্চলে শুধু মিঁয়ারাই থাকেন না। আপার আসামের চরে যেমন মিসিং বা মিরি জাতিগোষ্ঠীর মানুষরাও বসবাস করেন।" "নিম্ন আসামের বহু চরেও মিঁয়া মুসলিমদের পাশাপাশি আর একটা কমিউনিটিও থাকে, তারা অবিভক্ত গোয়ালপাড়া অঞ্চলের দেশি মুসলিম। আমি বহু চরে তফসিলি জাতিভুক্ত অনেক হিন্দু পরিবারও পেয়েছি।" "প্রস্তাবিত মিউজিয়ামে এই জাতিবৈচিত্র্যটা উঠে আসুক, এটাই আমরা চেয়েছিলাম। কারণ সাধারণ মানুষ এই চরাঞ্চল নিয়ে তেমন বিশেষ কিছু জানে না, আর তাদের ধারণাটাও খুব প্রেজুডিসড।" ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা "কিন্তু এখন সেটাকে মিঁয়া মিউজিয়াম বলেই চিহ্নিত করা হচ্ছে - কারণ রাজ্যে শাসক দল বিজেপির যে রাজনীতি, সেটা হল বিভাজনের রাজনীতি", আক্ষেপের সুরে বলছিলেন পারভিন সুলতানা। ফলে চরাঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত মিউজিয়ামকেই আসাম সরকার এখন 'মিঁয়া মিউজিয়াম' বলে বর্ণনা করে সে প্রস্তাব নাকচ করে দিচ্ছে। আর এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজ্যে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্ক কাজ করছে বলেও পর্যবেক্ষকরা একমত।
জাতিগত, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বে দীর্ণ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে এবার বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে প্রস্তাবিত একটি 'মিঁয়া মিউজিয়াম'।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইসরায়েলি আরবদের অভিযোগ তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এক নতুন রিপোর্টে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ইসরায়েল একটি নীতিমালা গ্রহণ করেছে যেখানে তার নাগরিক হলেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র যখন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিগত বিভেদকে অনুমোদন করে তা বর্ণবাদ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং একে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে অভিযোগগুলো উদ্ভট এবং বানোয়াট। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা হচ্ছে। সম্পর্কিত খবর: তারা বলছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ''ইসরায়েল-বিরোধী এজেন্ডা'' দীর্ঘদিনের। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২১৩-পৃষ্ঠার ঐ রিপোর্টে তুলে ধরেছে কিভাবে সুপরিকল্পিতভাবে ইসরায়েল দখলকৃত ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোর করে বের করে দেয়া, তাদের বাড়ি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, তাদের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা ইত্যাদি। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যারা নানা দেশে শরণার্থীর জীবনযাপন করছেন তাদের দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না বলেও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। ইসরায়েলে সংখ্যালঘু আরবদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগের কিছুটা ওপরে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২১৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে নানা ধরনের বৈষম্যের চিত্রও তুলে ধরেছে। এর বাইরে ইসরায়েলের দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে রয়েছেন ২৫ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করেন সাড়ে তিন লক্ষ ফিলিস্তিনি। আর গাযা ভূখণ্ড, যেটিও ইসরায়েলের দখলে, সেখানে ১৯ লক্ষ ফিলিস্তিনির বাস। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের বর্ণবাদী আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এব্যাপারে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্যও মানবাধিকার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালদের প্রধান কৌঁসুলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ইসরায়েলি সরকার বলছে, তাদের ওপর ঐ আদালতের কোন এখতিয়ার নেই এবং তারা তদন্তে সহযোগিতা করবে না। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
ইসরায়েল তার রাষ্ট্রের মধ্যে এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরবদের ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্ণবাদ প্রয়োগ করছে এবং নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
চীনা মুদ্রা ইউয়ান এই পদক্ষেপটি বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা তীব্র করে তুলছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ইউয়ানের দরপতন বাজারের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা তীব্র করতে পারে। ২০০৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো চীনা মুদ্রার মান মার্কিন ডলারের চাইতে সাত ইউয়ান পড়ে যায়। তারপরই সোমবার নতুন করে শুল্ক আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্তটি আসে। যা দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও বেগবান করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনের সমস্ত আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক আরোপই এর লক্ষ্য। আরও পড়তে পারেন: আমাকে ইমপিচ করলে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে: ট্রাম্প মোদী এবার কিভাবে অর্থনীতি সামলাবেন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে লাভ ভিয়েতনামের? চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না। চীন কীভাবে তার মুদ্রাকে অবমূল্যায়ন করে? ইউয়ান দিয়ে অবাধে বাণিজ্য করার কোন সুযোগ নেই। চীনা সরকার মার্কিন ডলারের বিপরীতে তার লেনদেনও সীমাবদ্ধ রাখে। বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো, পিবিওসি (পিপলস ব্যাংক অব চায়না।) স্বাধীন নয়। এ কারণে ইউয়ানের দরে বড় ধরণের তারতম্য হলে এই ব্যাংককে জবাবদিহি করতে হয়। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের চীন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স-প্রিটার্ড বলছেন, ''সর্বশেষ মার্কিন শুল্ক আরোপের সাথে সমন্বয় করতেইউয়ানের অবমূল্যায়নের বিষয়টিকে মুদ্রা বিনিময়ে একপ্রকার কার্যকরী অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যদিও মুদ্রাটি আসলে হয়তো দুর্বল হয়ে যায়নি।'' দুর্বল ইউয়ানের প্রভাব কী? দুর্বল ইউয়ান চীনা রফতানিকে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। এ কারণে ওই পণ্যগুলো বিদেশি মুদ্রায় কিনতে গেলে দাম কম পড়ে। মার্কিন দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি আমেরিকাতে আসা চীনা আমদানির ওপর উচ্চ শুল্কের প্রভাবকে ভারসাম্য করার প্রয়াস হিসাবে দেখা হয়। যদিও এটিকে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের কাছে জয় হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে - যারা এখন চীনা পণ্যগুলি আরও সস্তায় কিনতে পারছেন - তবে এটি অন্যান্য ঝুঁকি বহন করে। দুর্বল ইউয়ান চীনে পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে। এ কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে এবং চীনা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং মুদ্রাধারীদের অন্যান্য সম্পদে বিনিয়োগের জন্য চাপ দেবে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক নেমে এসেছে। মিশেল ফ্ল্যুরির বিশ্লেষণ মিশেল ফ্ল্যুরি নিউ ইয়র্ক বিজনেস প্রতিবেদক। তার মতে, মার্কিন ট্রেজারি যখন একটি দেশের ওপর মুদ্রা অবমূল্যায়নের তকমা জুড়ে দেয়- যেমনটি এখানে চীনের সঙ্গে করেছে - পরবর্তী পদক্ষেপটি সাধারণত দুই দেশের মধ্যে আলোচনার জন্যই হয়। এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। এই প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রবর্তনের পথও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আবার, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মিস্টার ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' প্রচারণার একটি অংশ জুড়েই এমনটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে, আইএমএফ এর উদ্বেগ নিরসনে কাজ করবে মার্কিন সেক্রেটারি অব দ্য ট্রেজারি মুনচিনও। তবে এটি কেমন ফল দেবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তারা কি আগে এই কাজ করেছে? হ্যাঁ। ২০১৫ সালে, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে তিন বছরে মার্কিন ডলারের তুলনায় তার মুদ্রাকে সর্বনিম্ন হারে ঠেলে দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে যে এই পদক্ষেপটি বাজার সংস্কারকে সমর্থন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সর্বশেষ প্রতি ডলারে সাত ইউয়ান স্তরে লেনদেন হয়েছিল বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'একটা শ্রেণী হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে' ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মারা গেছেন 'কাশ্মীর বিচ্ছিন্ন, তার মধ্যেও চলছে বিক্ষোভ' ডেঙ্গু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ চীনা মুদ্রা। কেন এটি যুক্তরাষ্ট্রকে খেপিয়ে তুলেছে? বেইজিংয়ের সাথে মিঃ ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চীনা পণ্যগুলোকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে তার রফতানির জন্য চীনকে তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ করেছে -যদিও তা অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। ইউয়ানের সর্বশেষ দরপতনকে বাণিজ্য যুদ্ধের সাথে সংযুক্ত করার পরেও চীন বলছে যে তারা "প্রতিযোগিতামূলক অবমূল্যায়নে" জড়িত হবে না। মুদ্রা কারসাজি এত বিতর্কিত কেন? মুদ্রার কারসাজিতে বৈশ্বিক ব্যবসায়ের নিয়মগুলিকে লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। তারমধ্যে একটি হল কৃত্রিমভাবে মুদ্রার বিনিময় হারকে স্ফীত করে বা সংকোচন করা। মুদ্রাস্ফীতি এড়াতে বা মূলধন প্রবাহকে হ্রাস করতে রফতানিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য এটি নকশা করা যেতে পারে। এমরি ল রিভিউতে লরেন্স হাওয়ার্ডের একটি গবেষণাপত্র জানিয়েছে যে "বিশ্ববাজারে মুদ্রা কারসাজির মারাত্মক প্রভাব রয়েছে"। মিঃ হাওয়ার্ড লিখেছেন, "বিশ্বজুড়ে, মুদ্রার হেরফেরটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হারিয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ চাকরির জন্য এবং এমনকি ইউরোপে ক্ষুদ্র, তবে তাৎপর্যপূর্ণ, চাকরির সংখ্যা হ্রাস হওয়ার জন্য দায়ী। ইউয়ান এর পরবর্তী চিত্র কি? বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস করেছেন যে ইউয়ানের মান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। ওয়ান্ডা বাজার কৌশলবিদ এডওয়ার্ড মোয়া বলেছেন যে "চলতি বছরের শেষের দিকে আরও ৫% ইউয়ানের দরপতন হতে পারে।" ধারণা করা হচ্ছে বছর শেষে ইউয়ান প্রতি মার্কিন ডলারের ৭.৩০তে ঠেকতে পারে। যেটা কিনা ৬.৯০ হতে পারে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল।
গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মান এবার তার সর্বনিম্ন পয়েন্টে নেমে এসেছে। যার প্রধান কারণ চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা পুরনো ঢাকার ভবনগুলোকে পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বিবিসি বাংলাকে মি. করিম বলেন, এই 'রি-ডেভেলপমেন্ট' প্রজেক্ট অনুযায়ী পুরনো ঢাকার এক একটি এলাকাভেদে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয়া হবে। "ঐ এলাকার মেয়র, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে সবার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয়া হবে," বলেন মি. করিম। মি. করিম বলেন, পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিন অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত অনেক ভবন রয়েছে, যার অনেকগুলোর বয়সই ১০০ বছরের বেশি। "সেগুলোর অধিকাংশই বর্তমান সময়ের যুগোপযোগী না, রাস্তাঘাট নেই, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির ব্যবস্থা ভালো নাই। কোনো দুর্ঘটনা হলে জরুরি সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থাও ভাল নয়।" তবে এই পরিকল্পনা কবে থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান মি. করিম। "সম্প্রতি ঢাকায় একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার পর রাজউকের ২৪টি দল পরিদর্শনে রয়েছে। এই পরিদর্শন শেষ হওয়ার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে পুরানো ঢাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ করবো।" আরো পড়তে পারেন: যেভাবে ১০০ দিনে ৮ লাখ মানুষ হত্যা করা হয় সবচেয়ে ধনী ৭ নারী: কীভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন: নেপথ্যে কী ২১শে ফেব্রুয়ারি পুরনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নতুন ভবন তৈরির অর্থায়ন কীভাবে হবে? পুরনো ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে তার জায়গায় আধুনিক ভবন নির্মাণ করার অর্থায়ন কীভাবে হবে - সে প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী জানান, সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের অর্থায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। "এই প্রকল্পের অর্থায়ন সম্পূর্ণরূপে যে সরকার করব, সেরকমও নয়।" মি. করিম জানান, বাড়ির মালিক, হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করে এই প্রকল্পের অর্থায়নের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকায় গৃহায়ন সঙ্কটের মূল সমস্যা মনে করা হয় 'সুশাসনের অভাবকে'। জমির মালিক, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে রাজউক এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের ভবন নির্মাণ এবং অবৈধ ভবন অনুমোদনের সাথে জড়িত দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্ট থাকারও অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কতটা সম্ভবপর হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মি. করিম বলেন, "আমার মনে হয়, বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে নানারকম শিক্ষা থেকে মানুষ সচেতন হয়।" সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনার পর মানুষ সচেতন হয়েছে বলে আশা প্রকাশ করে মি. করিম বলেন, "আমাদের দেশের, বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীর সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছেন বলে আমার বিশ্বাস।" সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভবন নির্মাতা এবং বাড়ির মালিকরাও 'সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসছেন' বলে মনে করেন মি. করিম।
পুরনো ঢাকার অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত অংশগুলোকে নতুনভাবে পরিকল্পনার আওতায় এনে পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে শনিবার এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইরানের প্রেসিডন্ট হাসান রুহানি। তিনি সতর্ক করেছেন আর্মেনিয়া-অজারবাইজান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে প্রায় দুই সপ্তাহ পরও প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে লড়াই প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা না দেওয়ায়, উদ্বিগ্ন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সতর্ক করেছেন, আজারবাইজান-আর্মেনিয়া লড়াই একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ যেন কোনোভাবেই আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ না নেয় সেদিকে আমাদের অবশ্যই নজর দিতে হবে।“ ইরানের ভেতর থেকে গত কদিন ধরে বলা হচ্ছে, সীমান্তে তাদের কয়েকটি গ্রামে রকেট এবং কামানের গোলা এসে পড়ছে। ইরানের সীমান্ত-রক্ষী বাহিনীর প্রধান কাসেম রাজেই বলেছেন সংঘাত শুরুর পর কিছু গোলা তাদের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে, এবং সেজন্য উত্তর সীমান্তে সৈন্যদের বিশেষভাবে সজাগ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রুহানিও গতকাল বলেছেন, ইরানের ভূমিতে অন্য কোনো দেশের গোলা বা ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “আমাদের শহরের এবং গ্রামের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।'' বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রতিবেশীর সংঘাত যাতে আয়ত্তের বাইরে না চলে যায় তা নিয়ে ইরান উদ্বিগ্ন। দুটি দেশের সাথে তাদের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং জাতিগত যে সম্পর্ক, তাতে ইরান কঠিন একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে। যদিও নাগোর্নো-কারাবাখের ওপর আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ইরান গোড়া থেকে সমর্থন করে আসছে, কিন্তু অতীতের মত এবারও ইরান বারবার বলার চেষ্টা করছে এই বিরোধে তারা কোনো পক্ষ নিচ্ছে না। মীমাংসার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে ফেলতে দুই দেশের সরকার প্রধানের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি। এমনকী মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেহরান। ইরান কেন উদ্বিগ্ন অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, লক্ষ্যচ্যুত কিছু কামানের গোলা ইরানের প্রধান উদ্বেগ নয়, বরঞ্চ দোরগোড়ায় এই সংঘাতে এমন এমন দেশ জড়িয়ে পড়ছে যাদের উদ্দেশ্য নিয়ে ইরানের গভীর সন্দেহ রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: আজেরি গোলার আাঘাতে নাগোর্নো-কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ শহর ছেড়ে চলে গেছে তেহরান সরকারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ইরানকেও নিশানা করার চেষ্টা হতে পারে। ইসরায়েলের সাথে হালে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের ইসরায়েলী ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র কেনার বিষয়টি নিয়ে ইরান উদ্বিগ্ন। মুসলিম আজারবাইজানকে ইসরায়েলী এই অস্ত্র সাহায্য এতটাই প্রকাশ্য যে প্রতিবাদে আর্মেনিয়া ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনেছে। তেহরান সরকারের ঘনিষ্ঠ ইরানের রাজনীতিক এবং ইরান পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ জাভেদ জামালিকে উদ্ধৃত আল জাজিরা লিখেছে “যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই বিরোধ জিইয়ে রাখতে চাইবে।'' বোঝাই যায়, আজারবাইজান শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া স্বত্বেও চিরশত্রু ইসরায়েলের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ইরান ভেতরে ভেতরে উদ্বিগ্ন এবং নাখোশ। এমন অভিযোগও উঠেছে, ইরান তলে তলে আর্মেনিয়াকে সাহায্য করছে। সম্প্রতি অনলাইনে বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার হয়েছে যেখানে দেখা গেছে ইরানের একটি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র নিয়ে আর্মেনিয়াতে ট্রাক ঢুকছে। তবে ইরান সরকার সাথে সাথে একে “ভিত্তিহীন অপপ্রচার'' বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেখানো হয়েছে আর্মেনিয়ার সাথে নেরাদুজ সীমান্তে যেসব রুশ নির্মিত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে তা সংঘাত শুরুর আগে আর্মেনিয়া রাশিয়া থেকে কিনেছিল, যেগুলো ইরানের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আর ওসব ট্রাকে অস্ত্র নয়, বরঞ্চ গাড়ির যন্ত্রপাতি রয়েছে। ইরানের জাতিগোষ্ঠীর নাজুক সমীকরণ এছাড়া আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাতে তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়তে পারে বলে ইরানের ভেতর আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কার মূল কারণ ঐতিহাসিক সূত্রে ইরানের ভেতর প্রচুর সংখ্যায় জাতিগত আজেরি এবং আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস। আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরভানে এক সফরে ইরানের প্রেসিডন্ট রুহানি এবং আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান, অক্টোবর ১, ২০১৯ আধুনিক আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া (প্রাচীন নাম আরান) ১৯শ শতাব্দী পর্যন্ত পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, যা পরে তারা যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে হারায়। ফলে, এই দুই জাতিগোষ্ঠীর বহু মানুষ ইরানের নাগরিক। আজেরিরা ইরানের বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। প্রায় দুই কোটি আজেরির বসবাস ইরানে। , বিশেষ করে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী আরদাবিল এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে আজেরিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। ইরানের নাগরিক হলেও তারা সীমান্তের ওপারে আজারবাইজানের আজেরিদের সাথে আত্মিক ঘনিষ্ঠতা বোধ করে। সাম্প্রতিক কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে আজারবাইজানের সমর্থনে তেহরান এবং তাবরিজসহ বেশ কটি শহরে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। আজেরি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস এমন কয়েকটি জায়গায় মসজিদের ইমামরা গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আজারবাইজানের সমর্থনে যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। অন্যদিকে, প্রায় এক লাখের মত আর্মেনীয় ইরানের নাগরিক যারা দেশের ব্যবসা এবং সমাজ-অর্থনীতির অন্যান্য কাঠামোতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব ইরানি-আর্মেনীয়দের সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের, বিশেষ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রভাবশালী আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ইরান সরকারের কাছে তাদের গুরুত্ব অনেক। ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ইরান বিশেষজ্ঞ মারজিয়ে কোহি-ইসফাহানি ‘দি কনভারসেশন' নামে গবেষণা-ভিত্তিক একটি অনলাইন পোর্টালে এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, এই দুই জাতিগোষ্ঠীর স্পর্শকাতরতার কথা ভেবেই ইরান মধ্যস্থতা করার কথা বলছে। “ইরানকে দেখাতে হবে যে এই সংঘাতে তারা নিরপেক্ষ। অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য এটা তাদের জন্য জরুরি। প্রকাশ্যে কোনো একটি পক্ষকে সমর্থন করলে ইরানের ভেতর জাতিগত বিভেদ তৈরি হয়ে তা সংঘাতেও রূপ নিতে পারে।।'' মারজিয়ে কোহি-ইসফাহানির মতে, আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থান এবং সেইসাথে সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সমর্থন জুগিয়ে যাওয়াই এখন ইরানের কাছে সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে এই দুই দেশ ছাড়া তৃতীয় যে দেশটিকে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন করেছে এই যুদ্ধ তা হলো ইরান।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মসজিদ আর এসব মসজিদ কি মানুষের - বিশেষ করে শিশুদের - উপদ্রবের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? অন্তত একজন তা মনে করেন, আর তিনি খোদ সৌদি আরবেরই একজন লেখক। মসজিদ নিয়ে টেলিভিশনে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন মোহাম্মদ আল-সুহাইমি। তাকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, আর নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন গণমাধ্যমে। মি. আল-সুহাইমি মন্তব্যগুলো করেছেন একটি আরব টেলিভিশন চ্যানেলে, আর এরপর এ নিয়ে দেশটিতে বেশ বড় ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক সময়ে সৌদি আরবে অনেক বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনার কথা চিন্তাও করা যেতো না। কিন্তু প্রিন্স মোহাম্মদ ক্ষমতাশালী যুবরাজ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর দেশটিতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, ফলে দেখেশুনে মনে হচ্ছে সৌদি আরব কঠোর রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে - বলছেন বিবিসির আরব অ্যাফেয়ার্স এডিটর সেবাস্টিয়ান আশার। কিন্তু মসজিদের সংখ্যা আর আজান নিয়ে সমালোচনা হয়তো খানিকটা সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত কাবা মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ মোহাম্মদ আল-সুহাইমি তাঁর উদার মতামতের জন্যে পরিচিত। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবে মসজিদের সংখ্যা এত বেশী যে মনে হয় প্রত্যেক নাগরিকের জন্যেই একটি করে মসজিদ রয়েছে। তাঁর মতে, মসজিদের সংখ্যা এতো বেশী হওয়ার কারণে তা মানুষের শান্তিভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এমনও বলেছেন যে আজান মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে আর শিশুদের জন্যে বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি উচ্চ শব্দের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে নিজেদের জানান দেয়ার যে প্রতিযোগিতা মসজিদগুলোর মধ্যে চলে, তা এর আগেও সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আর সে কারণে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থাও সেখানে রয়েছে। কিন্তু আল-সুহাইমির মন্তব্য হয়তো তাকে সম্ভাব্য আইনী ঝামেলায় ফেলতে যাচ্ছে। অনলাইনে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আজানের সঙ্গে শিশুদের জড়িয়ে নিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন, সে ব্যাপারেই মানুষজন বেশী ক্ষুব্ধ বলে মনে হচ্ছে। অনেকে এমন ভিডিও আপলোড করছেন যাতে দেখা যাচ্ছে শিশুরা নামাজ পড়ছে। একটি ভিডিওতে এমন চিত্রও দেখা যায় যে একটি শিশু খেলার মাঠে বসেই আজানের ডাকে সাড়া দিচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অস্ত্র বিক্রি নিয়ে অবস্থান বদলাচ্ছেন ট্রাম্প? আইসল্যান্ডে কেন খৎনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মোবাইল গ্রাহকদের কতটা সুবিধা দিতে পারবে ফোর-জি?
বিশ্বের বেশীরভাগ মুসলমান যে দেশটিকে পবিত্র বলে মনে করে, সেই সৌদি আরবে কি মসজিদের সংখ্যা খুব বেশী?
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মক্কা ও মদিনা মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র বলে বিবেচিত হয় সম্প্রতি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইরান শিয়া মতবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে ইসলামী বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কিন্তু সুন্নি মতাবলম্বী সৌদি আরব সেটি কখনোই মানবে না - সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এটা বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে ইরানের সাথে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের জন্য ইরান ও সৌদি আরব এক ধরনের প্রক্সি ওয়ার (সরাসরি যুদ্ধ না করে অন্যকে সহায়তার মাধ্যমে যুদ্ধ) চালাচ্ছে। সিরিয়ার যুদ্ধে সৌদি আরব যাদের সমর্থন করছে, ইরান তার প্রতিপক্ষকে মদদ দিচ্ছে। ইয়েমেনে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে সৌদি আরব - বলা হচ্ছে সেখানকার হুতি বিদ্রোহীদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত সৌদি আরব যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে হুতি বিদ্রোহীদেরকে ইরান মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আগামী ২০ থেকে ২৩শে মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সামিট। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ৩৪টি দেশের সরকার প্রধানরা এ সামিটে যোগ দেবেন। এসব মুসলিম দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ সম্মেলনে যোগ দিবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মি: ট্রাম্প তাঁর প্রথম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সৌদি আরবেই বেছে নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে সন্ত্রাসবাদের সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই এবং এটিকে দমন করা জরুরী হয়ে পড়েছে, এমন বক্তব্য মুসলিম দেশগুলো এ সম্মেলনে তুলে ধরবে । সৌদি আরব বলছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্যই প্রায় দেড় বছর আগে ৩৪টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে সামরিক কোয়ালিশন গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এ কোয়ালিশন সৌদি আরবের স্বার্থ রক্ষার জন্য কতটা আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কতটা - তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইরান এ জোটে নেই। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের নেতৃত্বে কোয়ালিশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ কি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে? অনেক বিশ্লেষক এ প্রশ্ন তুলছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী অবশ্য জানিয়েছেন, এ ধরণের আশংকা 'ভিত্তিহীন'। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা এ কোয়ালিশনের প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের মন্ত্রী। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদকে সৌদি আরব কোন দৃষ্টিতে দেখবে সেটিও এক বড় প্রশ্ন। সৌদি আরব এবং ইরান পরস্পরকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য দায়ী করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থান তার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। শিয়া মতাবলম্বীরা ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এদের অস্ত্রধারীরা ইরাকে শিয়াদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে শিয়াদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থানের অন্যতম কারণ। সিরিয়া ও ইয়েমেন ছাড়াও লেবানন, বাহরাইন এবং ইরাকেও শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব প্রকট। এসব দেশে ইরান ও সৌদি আরব পরস্পরের প্রতিপক্ষকে ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এ ধরনের একটি সামরিক কোয়ালিশন গড়ে তোলা সৌদি আরবের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এম শাহিদুজ্জামান বলেন, সৌদি রাজতন্ত্র সন্ত্রাসকে একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তিনি মনে করেন এ জোট গঠনের পেছনে সৌদি রাজতন্ত্রের স্বার্থ যেমন রয়েছে, তেমনি সন্ত্রাস-বিরোধী একটি শক্তিশালী জোট গঠনের প্রয়োজনও আছে। "জোটের ধারণা অঞ্চল-ভিত্তিক, স্বার্থ-ভিত্তিক এবং বিভিন্ন জায়গায় এর প্রাসঙ্গিকতা মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্ণয় হয়," বলছিলেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি আরব যখন বাংলাদেশকে কোন অনুরোধ কিংবা প্রস্তাব করে তখন সেটি ফিরিয়ে দেয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। একদিকে বাংলাদেশের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ সৌদি আরবে কর্মরত আছে, অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের প্রভাব ইরানের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের একটি সামরিক জোট সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করতে কার্যকরী হবে। রিয়াদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সামিট বাংলাদেশে যেহেতু সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলা করছে, সেজন্য এ ধরণের জোটে তাদের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো জোরালো করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে বাংলাদেশ সেসব দেশের নিজস্ব বিষয় বলে মনে করে। এ বিষয়টি বাংলাদেশকে কোনভাবেই প্রভাবিত করবে না বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। এ সামরিক জোটে বাংলাদেশ কোন সৈন্য দিচ্ছে না। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণা, তথ্য-আদান প্রদান এবং সেটি মোকাবেলার কৌশল নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ। তবে মক্কা ও মদিনা যদি কখনো আক্রান্ত হয়, তখন মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র এই নগরী দুটোকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ পিছপা হবে না বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, "মসজিদুল হারাম ও মসজিদে ন‌ব্বীর প্রতি মুসলমানদের ভালোবাসা ও ভক্তির কথা মনে রেখে যদি মক্কা-মদিনার প্রতি কোন হুমকি আসে তাহলে সেখানে কোন সাহায্য চাইলে আমরা অবশ্যই সেখানে সৈন্য পাঠাবো।" বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, ইরান ও সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের জন্য যে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, এ সামরিক জোট সে প্রভাব থেকে কতটা মুক্ত থাকবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ইরান ও সৌদি আরবের দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো, যার সৃষ্টি হয়েছে মূলত শিয়া ও সুন্নি মতবাদকে কেন্দ্র করে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে উল্টে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির একটি বগি। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় উপবন এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি একটি সেতু পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার মোঃ: শাহজালাল জানিয়েছেন ট্রেনটির পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে, যার মধ্যে একটি বগি সেতু থেকে নিচে পানিতে পড়ে যায়। সেতু থেকে রেললাইন উপড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্থানীয় কর্মকর্তারা ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কুলাউরা সাব স্টেশন থেকে বলা হয়েছে হাসপাতালে নেয়ার পর একজন মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এই দুর্ঘটনায় বহু আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিজ ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে আহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেননি মি. শাহজালাল। তবে দমকল কর্মীরা বলছেন সংখ্যাটি অন্তত অর্ধশত হবে। আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৩টি ইউনিটের উদ্ধারকর্মীরা সেখানে কাজ করছেন। সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিলো। তিনি জানিয়েছেন ঢাকা সিলেট মহাসড়কে তিতাস নদীর উপরে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সড়কপথে যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেকারণে কয়েকদিন ধরে ট্রেনের উপরে বেশ চাপ রয়েছে বলে তিনি জানান। দমকল বাহিনীর সিলেট অঞ্চলের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন সকালের দিকে লাইনচ্যুত হওয়া বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। উপড়ে যাওয়া রেললাইন ঠিক করে রেল যোগাযোগ চালু হতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।
বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ফাইনালে জিতলে ক্রোয়েশিয়ার জন্য এটিই হবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো বড় ধরনের ট্রফি জয় জিতলে ক্রোয়েশিয়ার জন্য এটিই হবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো বড় ধরনের ট্রফি জয়। আর ফ্রান্সের জন্য এটি অবশ্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। গত ছয়টি বিশ্বকাপের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠলো তারা। জিতলে বিশ বছর পর এটি হবে ফ্রান্সের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলো ফ্রান্স। আর কোচ দিদিয়ের দেশঁমের জন্য এটি তৃতীয় বিশ্বকাপ এবং তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ দলটির দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র নয় মাস কিন্তু দল জিতলে তার জন্য এটা হবে জীবনের সেরা অর্জন। ক্রোয়েশিয়া: স্বপ্ন, স্বপ্ন ও স্বপ্ন দেশটির জনসংখ্যা মাত্র চল্লিশ লাখের কিছু বেশি। যদিও এর চেয়ে কম জনসংখ্যা নিয়ে ১৯৩০ সালে শিরোপা জিতেছিলো উরুগুয়ে। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বিশতম এই ক্রোয়েশিয়া শিরোপা জিতলে এটিই হবে সবচেয়ে কম র‍্যাংকিং নিয়ে বিশ্বকাপ জেতা। বিশ বছর আগে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের সাথে হেরেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিলো ক্রোয়েশিয়ার। আর এবার যখন সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলো দালিচের দল তখন রীতিমত বন্য উৎসবে মেতে উঠেছিলো গোটা ক্রোয়েশিয়া। "ড্রিম, ড্রিম, ড্রিম! ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে" -এটাই শিরোনাম করেছিলো স্পোর্টসকি নভসটি পত্রিকা। আর দালিচ বলেছিলো "এলিটদের তালিকায় পৌঁছানো হলো"। এখন আর মাত্র একটি ধাপ...তারপরেই ইতিহাস। খেলা শেষে আসলে জানা যাবে এ স্বপ্ন পূরণের আনন্দে ভাসছে কি-না লাল, সাদা আর নীল পতাকা। রাশিয়া বিশ্বকাপঃ শেষের আগে কেমন চলছে মস্কোর প্রস্তুতি দারূন লড়াইয়ের আশা করছেন বিশ্লেষকরা ফ্রান্সের জন্য ক্ষত প্রশমনের সুযোগ ? ২০১৬ সালে ইউরোতে নিজ দেশেই ফাইনালে উঠেছিলো ফ্রান্স কিন্তু হারতে হয়েছিলো পর্তুগালের কাছে। এখনো সেই পরাজয়ের ধাক্কা কাটাতে পারেনি ফ্রান্স। গণমাধ্যম তাই দেখছে বিশ্বকাপকে সেই ক্ষত প্রশমনের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে। একটি পত্রিকা লিখেছে, "এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। খেলোয়াড়রা পরিপক্ব হয়েছে এবং একজন কিলিয়ান এমবাপে আছেন"। ফরাসী গণমাধ্যম এমন নানাভাবেই বিশ্লেষণ করছে। একটি পত্রিকা লিখেছে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে চব্বিশ ঘণ্টা আগে সেমিফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স এবং তারা নির্ধারিত সময়েই জয়লাভ করেছে। গোল্ডেন বল জিতবে কে? এবারের বিশ্বকাপকে অনেকেই মনে করেছিলেন দুই সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালডো আর লিওনেল মেসিই নিয়ন্ত্রণ করবেন। অথচ তারা দুজনেই বিদায় নিলেন শেষ ষোলো পর্বেই। আর এর মাধ্যমেই নতুন কারও জন্য গোল্ডেন বল জেতার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। আজকের ফাইনালে সেটি নির্ধারিত হবে কি-না কে জানে। যদিও গত ছয়টি টুর্নামেন্টে ফাইনালে ওঠা দলের খেলোয়াড়ই পেয়েছিলো গোল্ডেন বল। ক্রোয়েশিয়া মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ এবার অনেকেরই প্রশংসার তালিকায় রয়েছেন বিশেষ করে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলা থেকে। আবার আর্জেন্টিনাকেই ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন এমবাপে। যদিও কারও কার দৃষ্টিতে আছেন অ্যান্টনি গ্রিজম্যানও। তাদের দুজনেরই রয়েছেন তিনটি করে গোল। দুজনই জানেন ফাইনালের একটি হ্যাট্রিক তাদের নিয়ে যাবে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনের গোলসংখ্যার সমান পর্যায়ে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপ ২০১৮: রাশিয়ার জন্মহার বাড়াবে ফুটবল? 'নারী, মদ, ভাস্কর্য সব দারুণ, দারুণ আয়োজন রাশিয়ার' বিশ্বের বৃহত্তম ভারতীয় ভিসা সেন্টার কেন ঢাকায়? রাশিয়ায় ফিফার জাদুঘর
রাশিয়ায় বিশ্বকাপের শেষ দিনে আজ শিরোপার জন্য মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছেন রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান থাইল্যান্ডের অভিবাসন পুলিশ জানিয়েছে, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান নামের ১৮ বছর বয়সী ওই নারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। সোমবার বিকালে থাই অভিবাসন পুলিশের প্রধান সুরাচাতা হাকপার্ন নিশ্চিত করেছে যে, তিনি থাইল্যান্ডে থাকতে পারবেন এবং 'ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে বিমানবন্দর ছেড়ে গেছেন'। এর আগে তিনি বলেছেন, 'তার জন্য যেটাই ভালো' সেটাই করভে থাইল্যান্ড। '' তিনি এখন সার্বভৌম থাইল্যান্ডে রয়েছেন, সুতরাং অন্য কেউ বা অন্য কোন দূতাবাস তাকে কোথাও যেতে বাধ্য করতে পারবে না।'' মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের এ অবস্থানের বিষয়ে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের তিনি অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে ব্যাংককের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন, তাকে কুয়েতে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু এই তরুণী দাবি করছেন সেখানে পাঠালে পরিবার তাকে হত্যা করবে। সোমবার কুয়েতগামী এক ফ্লাইটে উঠতে অস্বীকৃতি জানান ১৮ বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান। বিমানবন্দরের একটি হোটেল কক্ষে তিনি নিজেকে আটকে রাখেন। তিনি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেন, "কুয়েতে আমার ভাইয়েরা, আমার পরিবার এবং সৌদি দূতাবাস আমার অপেক্ষায় বসে আছে। তারা আমাকে মেরে ফেলবে। আমার জীবন এখন বিপন্ন। আমার পরিবার একেবারে সামান্য ঘটনার জন্য পর্যন্ত আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।" হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। থাই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার বিষয়টি শরণার্থী সংস্থা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি গভীরভাবে নজরদারি করছে। মিজ মোহাম্মদ আল-কুনানের অভিযোগের বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের বলেও তারা মন্তব্য করেছে। থাইল্যান্ডের আইনজীবীরা ব্যাংককের ক্রিমিনাল কোর্টে একটি আবেদন করেছেন রাহাফের পক্ষে যেন তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ফেরত পাঠানো না হয়। ব্যাংকক বিমানবন্দর থেকে বিবিসির জোনাথান হেড জানান, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান ভীতসন্ত্রস্ত্র এবং বিভ্রান্ত। যেভাবে ঘটনার শুরু রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান তাঁর পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। দুদিন আগে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু রোববার ব্যাংককে নামার পরই নাকি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একজন সৌদি কূটনীতিক এসে তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করেন। রাহাফ দাবি করছেন, তার পাসপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি কখনোই থাইল্যান্ডে থাকতে চাননি। আরও পড়ুন: সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না 'ভোগ' ম্যাগাজিনে সৌদি রাজকুমারী: কেন এত বিতর্ক সৌদি নারীদের গোপন ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান: "আমার পরিবার আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।" অন্যদিকে ব্যাংককের সৌদি দূতাবাস দাবি করছে, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের কোন রিটার্ন টিকেট নেই, সেজন্যেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আর যেহেতু তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য কুয়েতে থাকে, তাই তাকে সেখানেই পাঠানো হচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, থাই সরকার আসলে এখন একটা কাহিনী ফাঁদার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, রাহাফ একটি ভিসার আবেদন করার চেষ্টা করেছিল, সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি বলেন, থাই কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, সে কারণেই বিমানটি ব্যাংককে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সৌদি কর্মকর্তারা রাহাফের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। যেভাবে ঘটনা জানাজানি হলো রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার ব্যাপারে পোস্ট দিয়ে সবার নজর কাড়েন। তিনি তার এক বন্ধুকে নিজের টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করতে দেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান বলেন, "আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার এই ঘটনা এবং ছবি শেয়ার করি। এ কারণে আমার বাবা আমার ওপর খুবই ক্ষিপ্ত। আমি আমার নিজের দেশে পড়াশোনা এবং কাজ করতে পারি না। আমি স্বাধীনতা চাই, আমি আমার মতো করে পড়াশোনা করতে চাই, কাজ করতে চাই।" সৌদি আরবে নারীকে 'পুরুষ অভিভাবকত্ব আইনের' অধীনে চলতে হয়। এর মানে হচ্ছে তাদের যে কোন কিছু করতে একজন পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতি নিতে হয়। চাকুরি, ভ্রমণ, বিয়ে থেকে শুরু করে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পর্যন্ত এই অনুমতি লাগে। রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনান-টুইটারে লিখেছেন যে তিনি তার প্রকৃত নাম এবং বিস্তারিত তথ্য এখন প্রকাশ করছেন, কারণ তার আর হারানোর কিছু নেই। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন। কেন তার নিরাপত্তা নিয়ে শংকা মিস মোহাম্মদ আল-কুনান বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। তিনি আশংকা করছেন, তার পরিবার তাকে হত্যা করতে পারে। থাই পুলিশের মেজর জেনারেল সুরাচাতে হাকপার্ন বিবিসিকে বলেন, মিস মোহাম্মদ আল-কুনান আসলে তাকে বিয়ে দেয়ার যে চেষ্টা চলছিল, সেখান থেকে পালিয়েছেন। তিনি এটিকে একটি 'পারিবারিক ব্যাপার' বলে বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের এপ্রিলে আরেক সৌদি নারীকে নিয়ে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। দিনা আলি লাসলুম নামের সেই নারী কুয়েত হতে ম্যানিলা হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে ম্যানিলা বিমানবন্দর হতেই তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার পর তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
ব্যাংককের বিমানবন্দরে আটকে থাকা সৌদি নারীর অবশেষে মুক্তি মিলেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গুজরাটের দাঙ্গার সময় পুলিশের টিয়ারগ্যাসের শিকার একটি পরিবার। এই দাঙ্গা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সবচেয়ে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। ওই মামলাতে জেল খাটছিলেন, এমন চারজনকে এ সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে। মাসকয়েক আগেই ওই একই মামলাতে অব্যাহতি পেয়েছেন বিজেপি নেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী মায়া কোদনানি, যার নেতৃত্বে নারোদা পাটিয়াতে হত্যালীলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ছিল। ভারতে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, গুজরাটের দাঙ্গাপীড়িতরা যে আদৌ ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না তা এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণিত। আহমেদাবাদের নারোদা পাটিয়া মহল্লায় ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্তত ৯৭জন মুসলিমকে যেভাবে মারা হয়েছিল, সেটা গুজরাট দাঙ্গার সবচেয়ে বীভৎস হত্যাকান্ডগুলোর একটি। সেদিন অনেককে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, এমন কী একজন গর্ভবতী নারীর পেট চিরে ভ্রূণ বের করে সেই সন্তান ও মা দুজনকেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই জানিয়েছেন। কিন্তু সেই মামলায় নিম্ন আদালতে দন্ডিত হয়ে জেল খাটছিলেন, এমন চারজনের দন্ডাদেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে - এবং দুদিন আগে তারা প্রত্যেকেই শীর্ষ আদালত থেকে জামিন পেয়ে গেছেন। গুজরাটে দাঙ্গাপীড়িতদের হয়ে বহু বছর ধরে লড়ছেন আহমেদাবাদের অ্যাক্টিভিস্ট নির্ঝরিণী সিনহা। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "নারোদা পাটিয়া মামলায় নিম্ন আদালতে কিন্তু খুব ভাল বিচার হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট বা উচ্চতর আদালতে পৌঁছনোর পরই দেখা যাচ্ছে হয় সেগুলোতে হয় প্রসিকিউশন ঠিকমতো হচ্ছে না, কিংবা আগের সাক্ষ্য গ্রাহ্য হচ্ছে না - এবং দন্ডিতরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন।" দাঙ্গার সময় নিজেদের রক্ষার আকুতি জানাচ্ছেন একদল মুসলিম নারী। "সব কিছু যে ঠিকঠাক হচ্ছে না, সেটা বোঝাই যাচ্ছে - এবং ভিক্টিমদের সঙ্গে ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুডেন্স সিস্টেমের এটা যেন চরম একটা প্রহসন।" নারোদা পাটিয়া হামলায় যিনি নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ, সে সময়কার বিজেপি সরকারের মন্ত্রী মায়া কোদনানিও প্রায় পাঁচ বছর জেল খাটার পর গত এপ্রিলে গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পেয়ে যান। নারোদা পাটিয়ার বাসিন্দারা সে সময় বিজেপির গুজরাটি বিভাগকে বলেছিলেন ওই সিদ্ধান্তে তাদের বিচার পাওয়ার আশা চুরমার হয়ে গেছে। ফতিমা বেন, নাঈমা শেখরা দাঙ্গার সময় স্বচক্ষে দেখেছিলেন কীভাবে কোদনানি ঘুরে যাওয়ার পরই মহল্লায় হাঙ্গামা চালানো হয় এবং তাদের মা-বোনদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। 'গুজরাট ফাইলস' বইয়ের লেখিকা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক রানা আয়ুবও মনে করছেন মায়া কোদনানির মুক্তির সময় থেকেই যেন এই বিচারের ধারাটা পুরো উল্টে গেছে। আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যখন সরব 'সরকারি মুসলমান' 'গরু-গুজরাট-হিন্দুত্বে' সেন্সরের কাঁচি অমর্ত্য সেনে তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "২০১২ সালে নিম্ন আদালতে কিন্তু বিচারক জ্যোৎস্না ইয়াগনিক তাকেই ওই গণহত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করেছিলেন - আর সেটা করা হয়েছিল চল্লিশজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে।" "কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সাক্ষীরা হয় বিগড়ে যাচ্ছেন, কিংবা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ঠিকমতো তদন্তই করছে না - যার পরিণতিতে এরা জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন।" আরএসএস-সমর্থক আইনজীবী রাঘব অবস্থী অবশ্য দাবি করছেন, "ট্রায়াল কোর্টের রায় উল্টে যাওয়াটা একটা রুটিন ঘটনা, প্রতিদিন অসংখ্যবার ঘটে থাকে।" দাঙ্গার সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করতে যাচ্ছে একদল লোক বিচারবিভাগের প্রতিটা পদক্ষেপে রাজনীতি দেখা উচিত নয় বলেও তার অভিমত। নির্ঝরিণী সিনহা আবার বলছিলেন, "নারোদা পাটিয়া মামলায় যেভাবে একটা সময় মায়া কোদনানিরে মতো প্রভাবশালী রাজনীতিবিদেরও জেল হয়েছিল তাতে ভিক্টিমদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল ঠিকই - কিন্তু এখন একের পর এক মুক্তি আর জামিনে তারা বিচারবিভাগের ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলছেন, যা কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ লক্ষণ নয়!" অ্যাক্টিভিস্টরা তাই বলছেন, উচ্চ আদালতে যেভাবে একের পর এক রায় আসছে তাতে মনে হচ্ছে নারোদা পাটিয়াতে ওই শখানেক মুসলিম নারী-পুরুষকে যেন কেউই কখনও মারেনি!
ভারতে সতেরো বছর আগেকার গুজরাট দাঙ্গায় সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডটি ঘটেছিল যেখানে, সেই নারোদা পাটিয়া মামলায় ভারতে একের পর এক অভিযুক্ত জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ডাক পেলেন ফরহাদ রেজা (বামে) ও তাসকিন আহমেদ। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান আকরাম খান। মূলত, কোচের ইচ্ছাতেই এই দুজনকে দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. খান। আরো পড়ুন: ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে যারা রয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ইমরুল কায়েস নেই কেন? এর আগে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলের সাথে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন নাইম হাসান এবং ইয়াসির আলী চৌধুরী। আর আজ নতুন করে এই সিরিজে জায়গা পেলেন পেসার ফরহাদ রেজা এবং তাসকিন আহমেদ। তাসকিন আহমেদকে এর আগে ফিটনেস জনিত কারণে দলের বাইরে রাখা হয়েছিলো। তাসকিন আহমেদকে এর আগে ফিটনেস জনিত কারণে দলের বাইরে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ গেল কদিন তাসকিনকে পর্যবেক্ষণ করে তাসকিনের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ফরহাদ রেজা সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন ১৬.৩৯ গড়ে। ফরহাদ রেজা শেষবার ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেন। ব্যাট হাতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ফরহাদ রেজা শেষবার ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস সংস্কারপন্থীদের নতুন দল নিয়ে কি চিন্তিত জামায়াত বাংলাদেশে চীনা ভাষা ইদানিং কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মানুষের সৃজনশীলতা জীবনের কোন বয়সে সর্বোচ্চ থাকে
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর আগে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলে যোগ হয়েছেন ফরহাদ রেজা ও তাসকিন আহমেদ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মিশেল ওবামা হিলারি ক্লিনটনের জনপ্রিয়তাকে অতিক্রম করেছেন। গ্যালপ পোলের এক মতামত জরিপে এই ফলাফল জানা যাচ্ছে। তার এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকা হিলারি ক্লিনটনের শ্রেষ্ঠত্বের অবসান ঘটলো। মিসেস ক্লিনটন - যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি -- ১৭ বছর ধরে সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন নারীর আসনটিতে বিরাজমান ছিলেন। কিন্তু এবার তার অবস্থান তালিকার তৃতীয়তে। দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে জনপ্রিয় টক-শো হোস্ট ওপরাহ্ ইউনফ্রি। এই মতামত জরিপের পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন হিসেবে উত্তরদাতারা বেছে নিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। তিনি গত ১১ বছর ধরেই এই সম্মানটি পেয়ে আসছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। গ্যালপ পোল ১৯৪৬ সাল থেকে প্রতিবছর এই মতামত জরিপটি পরিচালনা করে আসছে। তবে শুধুমাত্র ১৯৭৬ সালে কোন জরিপ হয়নি। এই জরিপে ১০২৫ প্রাপ্তবয়স্ক উত্তরদাতাকে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে তাদের সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন মানুষটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল।
সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আমেরিকার সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
'জয়ের ব্যাখ্যার কেন প্রয়োজন হলো প্রধানমন্ত্রীর?' - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর "কেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এই ব্যাখ্যা দিলেন? নির্বাচনে জিতলে তো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার এই ব্যাখ্যা দেওয়াটাই প্রমাণ করে তিনি জনগণের ভোটে জেতেননি। ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে গেছেন।" "তার কথায় যথেষ্ট মিথ্যাচার আছে, জাতিকে প্রতারিত করা হয়েছে।" বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার ভাষণে জানিয়েছেন - সে প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব ঐক্যের ডাক এখন অর্থহীন। 'বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র': কী ঘটছে দলটির ভেতরে? চেষ্টা করে কি হাল্কা-পাতলা হওয়া সম্ভব? ভেনেজুয়েলা সংকট: কোন ভূমিকায় সেনাবাহিনী? 'কার সাথে ঐক্য?' "কার সাথে ঐক্য? জনগণই তো এখন তাদের সাথে নেই। আওয়ামী লীগ এখন গণ-বিচ্ছিন্ন।" জাতির উদ্দেশ্যে তার ভাষণে শেখ হাসিনা বিরোধীদের সংসদে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিরোধীদের যৌক্তিক সমস্ত দাবি তিনি বিবেচনা করবেন। এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। সংসদে শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা আবারো নাকচ করে দিয়েছেন। "গৃহপালিত একটি বিরোধী দল তো তিনি বানিয়েছেন। জাতির সাথে একটি মর্মান্তিক প্রতারণা করা হয়েছে।" "তার এ ধরণের আশ্বাস জাতি আর বিশ্বাস করে বলে আমি মনে করিনা। কারণ ইতিপূর্বে যে সব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন একটিও তিনি রাখেননি।" "নির্বাচনের আগে তিনি কথা দিয়েছিলেন তপসিল ঘোষণার পর কোনো গ্রেপ্তার হবেনা, হয়রানি হবেনা। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু কোনোটাই সত্যি ছিলনা...প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ, প্রশাসনকে বলা হয়েছে নৌকার পক্ষে ভোট আনতে হবে...কী করে জাতি আর তার কথায় বিশ্বাস করবে?"
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় এবং বিরোধীদের ভরাডুবি নিয়ে শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী 'ভোট ডাকাতি' করে জিতেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ভালো স্কুলে সুযোগ পাওয়া, ভালো ফল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে সাফল্য এমনতর নানাবিধ চাপ তৈরি হয় ছেলেমেয়েদের ওপর। এ বছরের শুরুতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলে পরামর্শক বা কাউন্সেলর ও মনোবিদ নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সরকার বলছে, দ্রুতই আদালতের জারি করা রুলের জবাব তারা দেবে। তবে তার আগে বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগের কাজটি করার জন্য যথেষ্ঠ আর্থিক সক্ষমতা এ মূহুর্তে সরকারের নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলর এবং মনোবিদ নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। "ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একটি ফিজিবিলিটি ও প্রয়োজন যাচাই করে রিপোর্ট দেবার জন্য। সে রিপোর্ট পাবার পর এ নিয়ে কাজ শুরু হবে।" "এক্ষেত্রে সরকারের অর্থনৈতিক সামর্থও বিবেচনায় রাখা উচিত। হয়তো সব প্রতিষ্ঠানে এখনি আমরা নিয়োগ দিতে পারবো না, প্রয়োজন অনুযায়ী দেবার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে, স্কুলে আইসিটি পড়ানো শুরুর সময় দেখা গিয়েছিল পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই, আস্তে আস্তে সক্ষমতা বাড়ছে আমাদের। এখানেও সেটা হবে।" শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপমন্ত্রী মি. চৌধুরী আরো বলেছেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ কমানো এবং স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমেই পড়াশুনার সাথে সাথে কাউন্সেলিং যাতে করা যায়, সেদিকে সরকার আরো নজর দেবে। সেজন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কেন মানসিক চাপে ভোগে ছেলেমেয়েরা? বয়ঃসন্ধিকালে সারা পৃথিবীতেই ছেলেমেয়েরা নানা রকম মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। আর হরমোনের নানা পরিবর্তনের সাথে সাথে যুক্ত হয় পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশার চাপ। ভালো স্কুলে সুযোগ পাওয়া, ভালো ফল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে সাফল্য এমনতর নানাবিধ চাপ তৈরি হয় ছেলেমেয়েদের ওপর। পড়াশোনার চাপ, ভালো ফলাফলের জন্য মাবাবাদের অতি প্রত্যাশা, ইভটিজিং ও বুলিয়িং ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বয়:সন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা মানসিক চাপে ভোগে। এছাড়া সমবয়েসী অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তুলনা, ইভটিজিং, এবং স্কুলে সিনিয়রদের কাছে বুলিয়িং শিকার হবার মত ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনাও কিশোর বয়েসীদের মনে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট নুজহাত রহমান সেই সঙ্গে হয়ত এ প্রজন্মের সঙ্গে আগের প্রজন্মের মানুষ মানে মা-বাবাদের সম্পর্কে ঘাটতির কারণে এক ধরণের দূরত্বও থাকে। দেখা যায় হয়ত এ কারণেই ছেলেমেয়েরা তাদের রোজকার জীবনের কথা পরিবারের কাছে খুলে বলতে চায় না। এ বিষয়টি অনেক মা-বাবাই থাকেন উদ্বিগ্ন। ঢাকার একটি স্কুলের সামনে অপেক্ষমান কয়েকজন মা, যাদের সন্তানেরা সবাই বয়সন্ধিকাল পাড়ি দিচ্ছে, বিবিসিকে বলছিলেন, তাদের উদ্বেগের কথা। "অনেক কিছুই বলে না, চেপে যায়। এজন্য খুব টেনশন লাগে।" আমাদের হয়ত ভয় পায় না, কিন্তু শেয়ার করতে চায় বন্ধুদের সঙ্গেই।" "যাদের একটির বেশি সন্তান, হয়ত দেখা যায় মেয়েটিকে সাথে করে সবখানে যাচ্ছি, কিন্তু ছেলের সাথে যে খারাপ কিছু হবে না, সে গ্যারান্টি তো কেউ দিতে পারবে না।" আরো পড়তে পারেন: কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণে আনতে নীতিমালা আসছে নবম থেকে এসএসসি পর্যন্ত পাঁচজনের একজন ঝরে পড়ছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক শিশুটিকে স্কুলে আসতে মানা করা হয় যে কারণে সামাজিক ট্যাবু বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে এক ধরণের সামাজিক ট্যাবু কাজ করে। বেশির ভাগ মাবাবা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাবাবাদের এই কথা না বলা বা বিষয়টি এড়িয়ে যাবার কারণে ছেলেমেয়েদের জীবনে ভয়াবহ দুযোর্গ নেমে আসতে পারে। অনেকেই না বুঝে ভুল সঙ্গে পড়ে বিপথগামী হয়, কেউ মাদকাসক্তিসহ নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, কেউবা আবার আত্মহণনের পথ বেছে নেয়। ২০১৯ সালের শেষ দিনটিতে জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবার পরে, পরীক্ষায় আশানুরূপ সফলতা অর্জন হয়নি বলে দেশে তিনজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সন্তানের ওপর নানাবিধ মানসিক চাপ ও তাদের ব্যাক্তিত্বে পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে শহুরে মা-বাবার মধ্যে যতটা সচেতনতা আছে, গ্রাম বা মফস্বলের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে সেটি এখনো ততটা গুরুত্ব পায় না। কাজে আসবেন মনোবিদ পরিবার গুলোতে এক ধরণের সামাজিক ট্যাবুর কারণে যেহেতু অভিভাবকেরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না, অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও মনের কথা খুলে বলে না ছেলেমেয়েরা। এক্ষেত্রে পরিবার এবং শিক্ষকদের বাইরে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর কিংবা মনোবিদ শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারেন। বিবিসি বাংলায় পড়ুন: সিটি নির্বাচন: মানুষ কেন ভোট দিতে যায়নি? চীনে কীভাবে মাত্র ১০ দিনে তৈরি হলো হাসপাতাল উহানফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে যেমন কাটছে কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট নুজহাত রহমান বলছেন, যে কথা বাবামা বা শিক্ষককে খুলে বলা যাচ্ছে না, সেটি একজন মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে ছেলেমেয়েরা। "যারা সমস্যায় পড়ে তারা খোলামেলাভাবে আলোচনা করলে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে, সেটা তারা মনোবিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আবার যারা পড়াশোনায় খারাপ করা বা ইভটিজিং কিংবা বুলিয়িং এমন কোন সমস্যায়ও পড়েনি, তাদের হয়ত কেবল মনোযোগী ও আস্থা রাখা যায় এমন একজন দায়িত্বশীল শ্রোতার আলোচনা করতে পারলেই সমস্যা মিটে যাবে।" অল্প বয়েসী ছেলেমেয়েদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনাটা জরুরি বলে মনে করেন মিজ রহমান। অল্প বয়েসী ছেলেমেয়েদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনাটা জরুরি মনোবিদের সংখ্যা নগন্য বাংলাদেশে মূল সমস্যা দেশে প্রশিক্ষিত মনোবিদের মোট সংখ্যা মাত্র তিনশ জনের মত। এছাড়া ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি অর্থাৎ মনোবিদ হবার জন্য যে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থা রয়েছে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মনোবিদ মিজ রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর মাত্র ৩০ জন শিক্ষার্থী এ বিষয়ে পেশাদার সার্টিফিকেট নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ফলে এই জায়গাতেও সরকারকে চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে দ্রুতই।
বাংলাদেশের সরকার জানিয়েছে, কিশোর বয়েসী ছেলেমেয়েদের মানসিক চাপ সামলানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগ দেবার কথা ভাবা হচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগাম নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব এনেছিলেন সেটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় খারিজ হয়ে গেছে। এর আগে সংসদ সদস্যরা 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাবার বিষয়টি আটকে দিয়ে একটি বিল পাশ করেছেন পার্লামেন্ট। এই বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি। ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনে রাজনৈতিক সংকট যেরকম চরমে পৌঁছেছে, তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই বিলের মাধ্যমে ব্রেক্সিট প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি সমঝোতা করে পার্লামেন্টে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ফিরে যেতে হবে এবং অনুরোধ জানাতে হবে যে ব্রেক্সিটের সময়সীমা ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়। এই অনুরোধ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে চিঠি পাঠাবেন, সেটার ভাষা কী হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' আটকে দিয়ে পার্লামেন্টে যে বিল পাশ করা হয়েছে সেটি এক অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আত্নসমর্পন বলে বর্ণনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এই বিল পাশ হবার পরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী ১৫ই অক্টোবর নির্বাচনের প্রস্তাব আনেন। আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে ব্রিটিশ সংসদের নিয়ন্ত্রণ এমপিদের ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? ব্রিটেনের ওলট-পালট রাজনীতি নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ব্রেক্সিট নিয়ে বিপাকে ব্রিটেনের বরিস জনসন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন কিন্তু ব্রিটেনে এখন যে 'ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট' রয়েছে সে বলা আছে যে একটি পার্লামেন্ট যে মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে সে মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে। যদি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয় তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন লাগবে। কিন্তু আগাম নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব রেখে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, " সরকারের আনা একের পর এক প্রস্তাব যদি পার্লামেন্ট পাশ না করে, তাহলে সরকার পরিচালনা করা পুরোপুরি অসম্ভব।" মি: জনসন বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা নজিরবিহীন যে সরকার নির্বাচন দিতে চাইছে আর বিরোধী দল সেটি প্রত্যাখ্যান করছে। তবে বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছে, তারা আগাম নির্বাচনের বিরোধ নয়। গত দুই বছর যাবত লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে লেবার পার্টির অগ্রাধিকার হচ্ছে 'নো ডিল ব্রেক্সিট' বন্ধ করা। 'নো ডিল ব্রেক্সিট' আটকে দিয়ে হাউস অব কমন্সে যে বিল পাশ হয়েছে সেটি এখন হাউজ অব লর্ডসে যাবে। এরপর রানীর সম্মতির জন্য সেটি পাঠানো হবে। এই সবগুলো ধাপ পার হবার যখন পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে 'নো ডিল ব্রেক্সিট' আর হচ্ছে না, তখন নির্বাচনের ব্যাপারে বিরোধী দল লেবার পার্টির কোন আপত্তি নেই। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাতে ইন্টারনেট বন্ধ রোহিঙ্গা শিবিরে, বিদেশি এনজিও বন্ধ ঢাকা কি আসলেই বসবাসের অযোগ্য ? মহাসড়কে টোল: মাশুল গুণবে কে? আলসেমি দূর করার আটটি উপায়
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার রাতে হাউজ অব কমন্সে দুই দফা পরাজিত হয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
আপনি কি জানেন, কিভাবে নিপীড়ক পুরুষ সঙ্গী চিনবেন? যদি এরকম কোন বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে আপনার এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তাহলে সম্ভাবনা আছে যে, আপনি হয়তো একজন নিপীড়ক পুরুষের পাল্লায় পড়েছেন, যে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটাই মনে করেন মেক্সিকোর মনোবিজ্ঞানী টেরে ডিয়াজ সেন্ড্রা। কিভাবে নিপীড়ক বা নির্যাতনকারী সঙ্গীকে চেনা যায়, এ বিষয়ে তিনি একটি বই লিখেছেন। আরো পড়ুন: নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক নারী নির্যাতনের কারণ তাদের দুর্বল হিসাবে দেখা "এটা হয়তো এই শতাব্দীতে অদ্ভুত শোনাতে পারে, যখন আমরা লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু আমি বলবো, এই রোগীরা তাদের তাদের আধিপত্যবাদী, নিয়ন্ত্রণকারী আচরণের মধ্যে আটকে রয়েছে,'' বিবিসি মুন্ডো সার্ভিসকে তিনি বলছেন। ''কিন্তু এটা ঘটছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।'' পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ টেরা ব্যাখ্যা করেছেন, কর্তৃত্ববাদী আচরণ কী, কীভাবে সেটি সনাক্ত করতে হয় এবং কীভাবে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়। মনোবিজ্ঞানী টেরে ডিয়াজ সেন্ড্রা বলছেন, প্রত্যেক নারীকেই তার নিপীড়ক পুরুষ সঙ্গী সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত কর্তৃত্ববাদী বা নিপীড়ক সঙ্গী বলতে কি বোঝায়? এমন একজন ব্যক্তি, যিনি রূঢ়, নিষ্ঠুর বা অমার্জিত এবং অসম্মানজনক আচরণ করে থাকেন। আমরা সবাই কোন না কোন সময় কর্তৃত্ববাদী আচরণ করে থাকি, কিন্তু একজন নিপীড়ক হিসাবে তাকেই বুঝতে হবে, যিনি কিছু অতিরিক্ত কিছু সুবিধা ব্যবহার করে। অন্য কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছা,আগ্রহ, চাহিদা বা প্রয়োজনের কাছে নত হতে বাধ্য করে। একজন নিপীড়কের কৌশল কী হতে পারে? সাধারণভাবে বলতে গেলে, আসক্তি, অন্যায় সুযোগ নেয়া বা ভীতি দেখানো, যার মধ্যে হুমকি দেয়ার মতো আচরণও রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলোর একটিকে বলা হয় 'বিপথগামী নিপীড়ক'-এটি এমন এক ধরণের মানসিক আচরণগত ক্রুটি, যাদের আচরণে নিজেদের নিয়ে অত্যন্ত গর্ব প্রকাশ পেয়ে থাকে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মনোনীতদের চিঠি দিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ দুই রাজনৈতিক জোটে আসন ভাগাভাগির কতদূর? অফিসার্স ক্লাবে ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে কে কী বলছে? আবার আরেকটি ৯২ হবে নাতো? আতঙ্কে অযোধ্যা তারা তাদের সঙ্গীকে পুরোপুরি অকার্যকর, নিশ্চুপ, বোধহীন করে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই মেয়েটি নিজেই বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, আসলে তারই দোষ। কেউ তার কথা শুনতে চায় না এবং তার অন্যকোন জীবনযাপনের ক্ষমতাও নেই। এরাই হচ্ছে চরম ধরণের নিপীড়ক। নিপীড়ক সঙ্গীর কিছু বৈশিষ্ট্য '' সূত্র: ''কিভাবে নিপীড়ক সঙ্গী সনাক্ত করবেন'' মেয়েদের মধ্যেও কি নিপীড়ক আছে? অনেক সময় নিপীড়ন নির্ভর করে কে কোন অবস্থায় রয়েছে - তার ওপর। তবে সামাজিক অনেক কারণে নারীরা অন্য অনেক মানুষকে কেন্দ্র করে যেন একটি উপগ্রহের মতো জীবনযাপন করেন। যেমন সন্তান এবং সঙ্গীকে ঘিরে তাদের জীবনযাত্রা চলে । অন্যদিকে পুরুষরা মূলত তাদের জীবনে নিজেকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে নারীরাও নিপীড়ক হতে পারেন। তিনি হয়তো তার সঙ্গীকে আবেগতাড়িতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারেন অথবা হয়তো সন্তানদের ক্ষেত্রে দেখা সাক্ষাতে বিধিনিষেধ দিতে পারেন। এমনকি খারাপ আচরণ বা সঙ্গীকে ছোট করে তোলার জন্য জন্য আরো কিছু উপায় ব্যবহার করতে পারেন বা অন্য ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করে তুলতে পারেন। নিপীড়ক পুরুষ চেনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন মনোবিজ্ঞানী টেরে ডিয়াজ সেন্ড্রা নিপীড়ন করা কি জন্মগত? সোজা কথায় বলতে হলে, এখানে বেশ কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে। অনেক মানুষ আছে, যারা নিপীড়ক হিসাবে জন্ম নেননি, কিন্তু তাদের আবেগপ্রবণ এবং রাগী ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তাদের ধৈর্য কম থাকে, আগে থেকেই কোন কিছু ধারণা করে নেন এবং সহজ তৃপ্তি খোঁজেন। এ ধরণের মানুষজন সহজেই প্রতিক্রিয়া দেখান, হয়তো অনিচ্ছাকৃত হলেও, সেরকম আচরণ অনেক সময় অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় ছেলেদের 'পুরুষ' হতে শেখানো হয়। অনেক সংস্কৃতি এটা স্বাভাবিক একটি আচরণ, যার ফলে অনেকের মধ্যে একটি উঁচু মানসিকতা তৈরি হয়, এবং চরম বিপথগামী নিপীড়ক তৈরি করে। মনোবিজ্ঞানী টেরে ডিয়াজ সেন্ড্রা বলছেন, নিপীড়ক সঙ্গীরা সম্পর্কেও ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। সুতরাং, নারীরাও নিপীড়ক তৈরি করছে? এক্ষেত্রে নারীরা এর মধ্যে জড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়, তারা নিপীড়ক তৈরি করে না। আমরা এমন একটি পিতৃতান্ত্রিক বিশ্বে বাস করি, যেখানে অনেক পরিস্থিতিতে মানুষ কর্তৃত্ব, দখল বা নিপীড়নের ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক বা চাপিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। যখন একজন নারী দৃঢ়, সরাসরি এবং খানিকটা উষ্ণ হয়ে ওঠেন, তখন তাকে 'পাগলাটে, যৌনতার দিক থেকে হতাশ' বলে মনে করা হয়। কিন্তু একজন পুরুষের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা গেলে তাকে বলা হয় 'শক্ত চরিত্র'। নিপীড়করা কি পাল্টাতে পারে? তারা যদি চায়, তাহলে অবশ্যই পারে। কিন্তু এটা খুবই কঠিন, কারণ যারা বাড়তি সুযোগসুবিধা পেয়ে আসছে, তারা কেউ সেটি হারাতে চায় না। আপনার যদি এমন কারো সঙ্গে সম্পর্ক হয়ে থাকে, যার মধ্যে এরকম নিজেকে বড় ভাবার রোগ আছে এবং এসব নিপীড়কের বৈশিষ্ট্য দেখতে পান, তাহলে তার উচিত সেই সম্পর্ক থেকে পালানো। তবে হয়তো অনেক সময় দেখা যাবে যে, অনেক পুরুষ বলছে, তারা কখনো বুঝতে পারেনি যে, তারা অন্যদের সাথে লড়াই করছে। অন্যদের পাল্টানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে এরকম ব্যক্তিরা হয়তো নিজেদের পাল্টে নিতে পারে। আপনি পুরুষদের কী বলবেন? পুরুষদের ক্ষেত্রে এজন্য বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে। অনেক সম্পর্কের বদলের ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি সহানুভূতি এবং মানসিক সমর্থন পেয়ে থাকেন। বিচ্ছেদের কারণে পুরুষরা অনেক বেশি শারীরিক এবং মানসিক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তারা নিশ্চিত হতে পারে না যে, তারা যা, সেজন্য তাদের কেউ আর ভালোবাসবে কিনা। অনেক পুরুষ মনে করে, তাদের শক্তিশালী হওয়া উচিত এবং সবকিছু রক্ষা করা উচিত। তাকে পেশার ক্ষেত্রেও সফল হওয়া উচিত। কিন্তু তাদেরও কষ্ট আছে। কিন্তু তারা মনে করে, এটা নিয়ে কোন কথা বলা তাদের উচিত না কারণ, তাহলে তাদের হয়তো দুর্বল বলে মনে করা হতে পারে। কিন্তু যে পুরুষরা এই ধাপ পার হয়ে আসতে পারে, তাদের জন্য বিশাল মুক্তি অপেক্ষা করছে। নিজের বই হাতে মনোবিজ্ঞানী টেরে ডিয়াজ সেন্ড্রা নারীদের জন্য পরামর্শ কী? প্রেম খুব চমৎকার একটি ব্যাপার কিন্তু আমাদের সবারই সেটা খোঁজা উচিত। কিন্তু অনেক নারী মনে করেন, প্রেম হচ্ছে একমাত্র জিনিস, সেজন্য তারা ব্যক্তিত্বের অন্য কিছুকে আর গুরুত্ব দেন না। তাদের সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের উচিত ভালো প্রেমকে স্বাগত জানানো আর খারাপ প্রেমকে বিদায় জানানো। প্রেমকেই জীবনের একমাত্র বিষয় বলে ভাবা উচিত না।
তিনি সবসময়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, আপনি কী করছেন বা কার সঙ্গে আছেন। আপনি যদি এসব কথার জবাব না দেন, তাহলে তিনি ক্ষেপে উঠছেন। তিনি আপনাকে নির্দেশনা দিচ্ছেন যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা এড়াতে হলে আপনার কী করা উচিত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন যে, ইরান যে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে তা আবার সংশোধনযোগ্য। সোমবার ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন, "ইরানকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি তারা যাতে তাদের পদক্ষেপের সংশোধন করে আবার আগের মতোই চুক্তির শর্ত অনুসরণ করে।" চুক্তি ভেঙ্গে গত মে মাস থেকে ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে এবং সম্ভবত পারমাণবিক বোমা বানাতেও ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে এমন পদক্ষেপ নেয় তেহরান। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনি এই চুক্তি লঙ্ঘন করলো ইরান। আরো পড়তে পারেন: ইরান কেন ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে? ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প সংকট তৈরি হয়েছে যুক্তরাজ্য এবং ইরানের মধ্যেও। চলতি মাসে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়ায় তেল পাঠানোর অভিযোগে ইরানের একটি তেল ট্যাংকার ব্রিটেন আটক করার পর এই সংকট তৈরি হয়। যদিও এই অভিযোগ নাকচ করেছে ইরান। পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের উপর আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচী কমিয়ে নেয়ার কথা জানায় ইরান। এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে মিজ মঘেরিনি বলেন, "বাস্তবিকপক্ষে এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার সবগুলোই সংশোধনযোগ্য।" তিনি বলেন, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের কেউই মনে করে না যে, চুক্তির যে অংশ লঙ্ঘিত হয়েছে তা গুরুতর। আর তাই তারা এ নিয়ে নতুন করে কোন বিতর্কে যাবে না, যাতে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে না পড়ে দেশটি। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, ইরানের সাথে সংকট সহজ করে পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেন ইউরোপিয় ইউনিয়নভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এর আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, চুক্তি টিকিয়ে রাখার খুব 'ছোট একটি সম্ভাবনা' রয়েছে। "পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে ইরানের এখনো অনেক সময় প্রয়োজন," তিনি বলেন। বৈঠকের আগে প্রকাশিত এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি চুক্তির পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানান দেন। ইরানের পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখা দরকার কেন? বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিবেদক ফ্র্যাংক গার্ডনার বলেন, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি নাও করে, কিন্তু যেকোন সময় অস্ত্র তৈরি করতে পারে এমন সক্ষমতায় পৌঁছায় তাহলে সেটিকেও এর প্রতিবেশী দেশগুলো নিজেদের উপর বেশ বড় মাপের হুমকি হিসেবেই দেখবে। এ ধরণের অবস্থায় এসব দেশ নিজেরাও একটি করে পরমাণু অস্ত্র রাখতে চাইবে। এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ ইরানকে সহ্য করবে করবে না তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। আর এ কারণেই, ব্রাসেলসের কূটনীতিকদের মতে, পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। তাহলে বাস্তবে এর অবস্থা কেমন দাঁড়াবে? বিবিসির প্রতিবেদক মিস্টার গার্ডনার বলেন, খুব সম্ভবত, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং মিশর এমন শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ হতে চাইবে, যা দিয়ে একটি পুরো শহর ধ্বংস করা সম্ভব। আর এটি হবে বিশ্বের এমন একটি অঞ্চলে যেখানে গত টানা ৭১ বছর ধরে সংঘাত চলছে। সর্বশেষ, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করেও তাহলে আশঙ্কা রয়েছে যে, হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনের কাছে এটি দিয়ে দিতে পারে। আর একারণেই উপসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দা না হলেও ইরানের পরমাণু চুক্তি যে কারো জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তিটি নিয়ে কেন অনিশ্চয়তা? ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলে চুই করা চুক্তিটি থেকে এক তরফা ভাবে বের হয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তিতে সই করা অন্যইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফদেশগুলো মিস্টার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এবং জানায় যে তারা চুক্তিতে অটল থাকবে। দ্য মেইলে গত রবিবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের ফাঁস হওয়া এক মেমো প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় যে, মিস্টার ওবামার প্রতি আক্রোশের কারণেই পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন মিস্টার ট্রাম্প। চলতি মাসের শুরুর দিকে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা নিশ্চিত করে যে, ইউরেনিয়াম মজুদের ক্ষেত্রে চুক্তিতে থাকা নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করেছে ইরান। ইরান জানায়, মিস্টার ট্রাম্প চুক্তি বাতিল করার পর দেশটির উপর আবারো নিষেধাজ্ঞা বহালের প্রতিক্রিয়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
ইরান ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তির যে অংশ লঙ্ঘন করেছে - তা তেমন গুরুতর নয় এবং তা আবার সংশোধনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কমনওয়েলথ গেমসে রুপাজয়ী আব্দুল্লাহ হেল বাকী। শেষ পর্বের আগের দুই রাউন্ডে এক নম্বরে ছিলেন বাকী। কীভাবে স্বর্ণ পদক হাতছাড়া হল তার কাছ থেকে? বাকী বলেন, 'শুরুতে আমি কোনও চাপে ছিলাম না। শেষ শটেও আমার লিড ছিল, ১০.১ করতে পারলেও হয়তো জিতে যেতাম। তবে যা হয়নি তা নিয়ে আর ভাবছি না।' শেষ শটের আগের রোমাঞ্চটা কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে রুপাজয়ী বাকী বলেন, 'প্রতিপক্ষ যখন শট শেষ করে তখনই আমি স্কোরে একবার চোখ বুলিয়েছিলাম, এটা আমি আগেই জানতাম যে আমাকে কত পেতে হবে।' 'এটা শ্যুটিংয়ের মূলনীতির বিরুদ্ধে কোচ জানলে নিশ্চিত তিরস্কার করবেন আমাকে। শ্যুটিংয়ে এটা একদমই উচিত না।' 'এই ভুলটার কারণেই হয়তো পিছিয়ে গেছি। সেখানেই চাপ নিয়ে ফেলেছি যে এতো পয়েন্ট পেতেই হবে।' ২৪৪.৭ স্কোর নিয়ে ইভেন্ট শেষ করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই বাংলাদেশী শ্যুটার। ২৪৫ স্কোর নিয়ে স্বর্ণ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেইন স্যাম্পসন। আর ২২৪.১ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের রবি কুমার। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসেও এই ইভেন্টে রুপা জিতেছিলেন মি. বাকী। এবারের আসরের এই সাফল্য তিনি নিজেকেই উৎসর্গ করেছেন, তিনি বলেন, আমি নিজেই চেষ্টা করেছি। এই খেলার জন্য পড়াশুনা বা বিয়েশাদী কিছুই করা হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে টানা চারবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন মি.বাকী। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ডের আসরে প্রথম সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনির হাত ধরে এসেছিল ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত সেরার পদকটি। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারের আসর থেকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সোনা এনে দিয়েছিলেন আসিফ হোসেন খান। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের সেরা হয়েছিলেন তিনি।
'স্বর্ণের একদম কাছে থেকে ফিরে এসেছি, একটা সুযোগ ছিল। আমি সন্তুষ্ট' গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপা জেতার পর এভাবে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন আব্দুল্লাহ হেল বাকী।