instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে কাঁকড়া রফতানি প্রায় বন্ধ। ক্ষতি ৪শ কোটি টাকা। এর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয় এমন দেশগুলোতেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে থাকায় রফতানিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা তৈরি হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে ঠিক কতটা সংকটে পড়তে পারে এদেশের বাণিজ্য? ঢাকায় উত্তরার কাছে নলভোগ এলাকা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রফতানির আগে প্যাকিংয়ের জন্য কাঁকড়া এবং কুঁচে মাছ আনা হয় এখানে। এয়ারপোর্টের কাছেই এই এলাকায় প্রায় ৬০টির মতো কাঁকড়া ও কুঁচে প্যাকিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। পুরো এলাকা ঘুরে অবশ্য মাত্র ১০/১২টি সেন্টার চালু দেখা গেলো। বাকী সব বন্ধ। যেগুলো চালু আছে সেগুলোতেও কাঁকড়া নেই বললেই চলে। কাঁকড়া ও কুঁচে রফতানিকারকদের এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গাজী আবুল কাশেম জানাচ্ছেন, জানুয়ারীর ২০ তারিখ থেকেই এই অবস্থা। কারণ কাঁকড়া ও কুঁচের ৯০ শতাংশই রফতানী হয় চীনে। চীনের ক্রেতারা কেনা বন্ধ করাতে এখন তাদের রফতানি বন্ধ। তিনি বলছিলেন, "বছরে আমাদের রফতানির বেশিরভাগটাই হয় জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি মাসে। চীনা নববর্ষের কারণে এর চাহিদা বেশি থাকে। আমাদের ব্যবসায়ীরা প্রায় ৪শ কোটি টাকার কাঁকড়া ও কুঁচে রেডি করে রাখছিলো। সব নষ্ট হয়ে গেছে।" তিনি বলছেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই মূলধন হারিয়ে ফেলেছেন। এখান থেকে সরকারি অর্থ সাহায্য ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। কাঁচামাল আমদানী কমেছে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের বিবেচনায় কাঁকড়া ও কুঁচে খাত হয়তো বড় কিছু নয়। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছেন। এটা আরো বাড়বে বলেই আশংকা করা হচ্ছে। কারণ চীন থেকেই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্যগুলোর কাঁচামাল আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন যে, এরইমধ্যে করোনার কারণে চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি কমেছে। গেলো অর্থবছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত মোট ৭৫ দিনের সঙ্গে চলতি অর্থবছরের একই সময়ের ৭৫ দিনের আমদানি তথ্য মিলিয়ে ট্যারিফ কমিশন বলছে, চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি কমে যাবার পরিমাণ ১৫ শতাংশ। কিন্তু ফেব্রুয়ারির বাকী দিনগুলোতে এবং মার্চের শুরুতে আমদানি আরো কমেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি ১৫ শতাংশ কমেছে। যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মার্চের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, চীন থেকে যদি সারাবিশ্বে কাঁচামাল রফতানি ২ শতাংশও কমে যায়, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতি হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশে ক্ষতি হবে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। এর আগে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনও একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে রফতানির ১৩টি খাতকে চিহ্নিত করেছে, যেগুলো করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতির মধ্যে পড়তে পারে। বলা হয়েছে এসব খাতে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। খাতগুলোর মধ্যে আছে প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া ওষুধ শিল্প, পাট সুতা, ইলেক্ট্রনিক্স, সামুদ্রিক মাছ, প্রসাধনী ইত্যাদি। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এসব খাতের পণ্য উৎপাদনের জন্য কমবেশি নির্ভর করেন চীন থেকে আনা কাঁচামাল কিংবা যন্ত্রাংশের উপর। এর মধ্যে সবার আগেই আছে বাংলাদেশের রফতানির মূল খাত তৈরি পোশাক। কারণ ইতোমধ্যেই এই খাতের অনেক কারখানা কাঁচামালের সংকটে পড়েছে কিংবা পড়তে যাচ্ছে। বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ তৈরি পোশাক খাতে কী প্রভাব পড়ছে? বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ফলে এ খাত যদি সংকটে পড়ে তাহলে দেশের পুরো রফতানি খাতই সংকটে পড়বে বলে মনে করা হয়। বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলছেন, তার নিজের পোশাক কারখানাতেই চীন থেকে কাঁচামালের কয়েকটি চালান আটকে গেছে। যেগুলো ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আসার কথা। তিনি জানাচ্ছেন, বেশ কিছু কারখানাতেই কাঁচামালের সংকট তৈরি হচ্ছে। "কারখানাগুলো আমদানির জন্য যেসব এলসি খুলে রেখেছিলো, চাইনিজ নিউ ইয়ার শেষে সেগুলোর শিপমেন্ট ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শুরু হওয়ার কথা। এখন সেটা তো পুশব্যাক হয়ে গেছে। আমরা অলরেডি ত্রিশ দিন পিছিয়ে পড়েছি। এখন নতুন করে যদি আসেও, সেগুলো আসবে, আনলোড হবে, প্রসেস হবে, ফ্যাক্টরিতে আসবে এভাবে তো আমরা অলরেডি লিড টাইম হারিয়ে ফেলেছি।" তিনি বলছেন, "ক্রেতাদেরকে বিলম্বিত শিপমেন্টের সম্ভাব্য সময় জানানো হচ্ছে, কেউ রাজি হচ্ছে নিতে, কেউ রাজি হচ্ছে না। সুতরাং আমরা ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।" মি. সামাদ বলছেন, কেউ কেউ চীন থেকে কাঁচামাল উড়োজাহাজে আনছেন। এবং ক্রেতাদের কাছেও হয়তো যথাসময়ে পণ্য পৌঁছাতে উড়োজাহাজেই পাঠাবেন। এতে করে ব্যয় বাড়বে। তিনি বলছেন, চীনের উৎপাদকেরা জানিয়েছেন ১৫ই মার্চের পরে পুরোদমে কাঁচামাল রফতানি শুরু হবে। যদি সত্যিই সেটা বাস্তব হয়, তাহলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়তো ভয়াবহ হবে না। রফতানি নিয়ে আশংকা কেন? কাঁচামালের অভাবে যখন পণ্য উৎপাদন নিয়ে সংশয় তখন পণ্য উৎপাদনের পর সেটা রফতানি নিয়েও সতর্ক থাকতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কারণ চীনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারে পর্যটন এবং কেনাকাটার পরিমাণ কমে আসছে। বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলছেন, ইতালিতে যে তৈরি পোশাকের অর্ডার কমবে বা বাতিল হবে তার কিছু সিগন্যাল তারা ইতোমধ্যেই পেয়েছেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের লেনদেন কমবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের পণ্যে কতটা প্রভাব ফেলবে তা বুঝতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। তার মতে, করোনা ভাইরাস কতটা ভয়াবহ রূপ নেয়, তার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের বাণিজ্যে প্রভাবের মাত্রা কতটা হবে। তিনি বলছেন, "সরকারকে এখনি কাঁচামালের বিকল্প খুঁজে আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ অন্যান্য দেশও বিকল্প উৎসগুলোতে যেতে শুরু করছে। একইসঙ্গে সরকারকে রফতানি বাজারও যাচাই করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমদানিকারক দেশগুলোয় কী ধরণের চাহিদা হচ্ছে, আমাদের কাছে রফতানির জন্য কী আছে সেটা দেখতে হবে।" | করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যে তো বটেই, প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশেও। চীন থেকে এখনো কাঁচামাল আমদানী সেভাবে শুরু না হওয়ায় তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী বিভিন্ন খাতের পণ্য উৎপাদন নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | গুরমিত রাম রহিম সিং হরিয়ানার পাঁচকুলার একটি আদালত শুক্রবার এই মামলার রায় দেবে, তার আগেই ওই ধর্মগুরুর হাজার হাজার ভক্ত সেখানে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। ওই দুই রাজ্য জুড়ে বাড়তি কয়েকশো কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে - প্রচুর লোককে গ্রেফতার করতে হতে পারে আশঙ্কায় পুলিশ একটি গোটা স্টেডিয়ামও অধিগ্রহণ করে রেখেছে। কিন্তু কেন বাবা রাম রহিমের মামলার রায় নিয়ে এই নজিরবিহীন প্রস্তুতি? আসলে ভারতের অজস্র গডম্যান বা ধর্মগুরুর মধ্যেও বাবা রাম রহিমের মতো বর্ণময় চরিত্র সম্ভবত আর একটিও নেই। তিনি একাধারে ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক, গায়ক, সিনেমার নায়ক ও পরিচালক। হরিয়ানার সিরসায় তার 'ডেরা সাচ্চা সওদা' আশ্রমের প্রাঙ্গণে নিয়মিত বসে পপ কনসার্ট। সেখানে গান ডেরার প্রধান, গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেই - তার তুমুল জনপ্রিয় 'ইউ আর মাই লাভ চার্জারে'র মতো আরও অনেক গান! 'এমএসজি : মেসেঞ্জার অব গড সিরিজে'র যে সিনেমাগুলোতে বাবা রাম রহিম নিজেই নায়ক গুরুজির অভিনয় করেছেন, হাজার হাজার গাড়ির কনভয় নিয়ে সেই ছবি দেখতে এমে তার ভক্তরা একাধিকবার দিল্লির কাছে গুরগাঁও অচল করে দিয়েছেন! শিখ, হিন্দু, মুসলিম সব ধর্মের চেতনার মিশেলেই তৈরি হয়েছে তার কাল্ট - কিন্তু পনেরো বছর আগে নিজের আশ্রমেই দুজন ভক্ত মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভক্তদের তাণ্ডবের ভয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কয়েক হাজার নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন প্রায় দশ বছর ধরে শুনানির পর অবশেষে শুক্রবার সেই মামলায় পাঁচকুলার সিবিআই আদালত রায় ঘোষণা করবে বলে কথা রয়েছে - আর তাকে ঘিরেই তটস্থ হয়ে রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, "আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কোনও বেচাল বরদাস্ত করা হবে না। এই মামলায় রায় দেবে সিবিআই আদালত - আর তা শুধু পাঞ্জাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না - কিন্তু কেউ যদি রায়কে অজুহাত করে হাঙ্গামা তৈরি করতে চায় শক্ত হাতে আমরা তার মোকাবিলা করব।" হরিয়ানার পুলিশ প্রধান বিএস সান্ধুও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র তাদের বাড়তি আধাসামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে - রাজ্যেও সব পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, "সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের কৌশল তৈরি - কেন্দ্রের পাঠানো আধাসেনা ও রিজার্ভ পুলিশ কোম্পানিদেরও রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।" আরও পড়ুন: 'বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা'র দায়ে ১৩ শিক্ষক কারাগারে আমেরিকার 'পাকিস্তান সঙ্কট' মিটবে না বাড়বে? ধর্ষণ মামলার রায় গুরুর বিপক্ষে গেলে বাবা রাম রহিমের শিষ্যরা ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে দিতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ধর্মগুরুর ভক্তরা, যাদের তিনি 'প্রেমী' বলে ডাকেন - তারা এর মধ্যেই পাঁচকুলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে তাদের ভাষায় 'রোষ প্রদর্শন' শুরু করে দিয়েছেন। এমনই একটি বিক্ষোভে ডেরার মুখপাত্র সন্দীপ শর্মা বলেন, "দুই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই এমন সমাবেশ হচ্ছে। আমরা দুশো লোক হবে ভাবছি, জুটে যাচ্ছে পাঁচশো লোক। বাবার অবমাননার কোনও চেষ্টা হলে তারা এভাবেই লাগাতার রোষ প্রদর্শন করে যাবে।" ২৫ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন বাবা রাম রহিমকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিজের চোখে 'দর্শন' করার জন্যও প্রচুর ভক্ত সেখানে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রায় বিরুদ্ধে গেলে তার লক্ষ লক্ষ প্রেমী ভক্ত সেদিন আইন অমান্য করতে পারে, এই আশঙ্কায় তাদের আটক করে রাখার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে চন্ডীগড়ের কাছে তাউ দেবীলাল স্টেডিয়ামও। আবার তিনি অব্যাহতি পেলে পাঞ্জাবের কট্টর শিখ সংগঠনগুলো প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে - সেই আশঙ্কাতেও ভুগছে প্রশাসন! | ভারতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা জুড়ে যার লক্ষ লক্ষ অনুগামী, সেই বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার আগে ওই দুই রাজ্যে চরম সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | কার্টুন পোস্টটির কারণে কিছু মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং বাদুরিয়া, বসিরহাট ও তেতুলিয়ায় দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ওই দাঙ্গায় একজন প্রাণ হারিয়েছে আর অনেকে আহতও হয়েছে। বিবিসি হিন্দি সার্ভিসের নিতিন শ্রীবাস্তব দাঙ্গায় বিধ্বস্ত ওই এলাকা ঘুরে দেখে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। চব্বিশ পরগনা জেলার বাদুরিয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম মাগুরখালিতে যখন বিবিসি সাংবাদিক পৌঁছালেন তখন ঝুম বৃষ্টি পড়ছিলো, আর তা দেখে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রিনা মণ্ডল বললেন "যেদিন কজন বিক্ষুব্ধ মানুষ আমার হিন্দু প্রতিবেশীদের বাড়ি জ্বালায়ে দিলো সেদিন যদি এমন বৃষ্টি হতো তাহলে হয়তো ঘরগুলো জলতোনা "। পাঁচ সদস্যের মুসলিম পরিবারটি মাত্র রাতের খাবার শেষ করে উঠেছিল, সেই সময় শ'খানেক মানুষ হাতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে এক কিশোরকে খুঁজছিলো যে কিনা ওই বিতর্কিত কার্টুনটি পোস্ট করেছিল। "আমরা ওইসব মানুষদের এর আগে কখনোই এলাকায় দেখিনি,আমি নিশ্চিত ওরা বাইরের কেউ "-বলেন মিসেস মণ্ডল। "আমি জন্ম থেকে এই এলাকার মানুষদের দেখছি কখনোই এরকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা দেখিনি। আমাদের শিশুদের রান্নাঘরে লুকিয়ে রেখেছিলাম এবং পালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম"। "আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারিনা আমার প্রতিবেশীদের তারা মারতে এসেছিলো, যারা কিনা ঈদে আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। আর আমরাও পূজায় যাদের বাড়িতে খাবার খাই "-বলেন তিনি। মিসেস মণ্ডল ছাড়াও স্থানীয় অনেক মানুষ জানালেন সেদিনের আক্রমণকারীরা আসলে তাদের গ্রামের কেউ ছিলোনা এবং দাঙ্গার ঘটনার পর তারা গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। ওই কিশোর আর তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলোনা, ফলে আক্রমণকারীরা তাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে চলে যায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন এক রিং: নারীদের মধ্যেও পেয়েছে জনপ্রিয়তা আমাকে ৬ মাস ধরে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করা হতো ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ওই কিশোরের বাড়িতে আগুন দিয়ে চলে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা যদিও পরে ওই ১৭ বছরের কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ওই পোস্টটির কারণে বসিরহাট ও তেতুলিয়া এলাকাতেও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর কিছুদিন বিক্ষুব্ধ মানুষ বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন, সরকারি অফিস ও রাজনীতিকদের অফিসে আগুন দেয় এবং অনেক যানবাহনও ভাংচুর করে।. এমনকি কয়দিন পর্যন্ত ওই এলাকার মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পায়নি, স্কুল ছিল বন্ধ, হাসপাতালে যেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে -কারণ রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। সে সময় যে ক্যামেরা ভাংচুর হয়েছে আর সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে তাতে স্থানীয়রাও খুব মর্মাহত। "যা ঘটেছে দুঃখজনক, কিন্তু যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বড় ক্ষত তৈরি করেছে এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এটি দাগ কেটেছে ' বলেন অনিন্দ্য আচার্য , যিনি একজন আইনজীবী। কিন্তু ওই দাঙ্গার ঘটনার পর সপ্তাখানেক কোর্টে যেতে পারেননি তিনি । তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি শাসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গত ১৮ মাসে অন্তত সাতটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা দেখেছেন। রিনা মণ্ডল বলে, আক্রমণকারীরা যে তাদের গ্রামের কেউ ছিল না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। মালদা, ধুলাগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং জালাঙ্গি -এই এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকবার হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। বলা হচ্ছে যে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে যাতে বহু হতাহত হচ্ছে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং অনেক পরিবারকে উচ্ছেদও করা হয়েছে। যে কিশোরের পোস্ট নিয়ে এত উত্তেজনা, তার এক বন্ধু বিবিসির সাংবাদিককে জানান,"ইন্টারনেট সস্তা হবার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ হলাম"। "সেদিন আমরা দুজন একসাথে ছিলাম। একটা পোস্টের কারণে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে তা আমরা ভাবতেই পারিনি"- বলেন ওই কিশোরের বন্ধু। "নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার পরিবার চারদিনের জন্য আমাকে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আর কখনোই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবোনা বলে প্রতিজ্ঞা করেছি"। ওই এলাকায় অনেক লোকের সাথে কথা বলেছেন নিতিন। এলাকার অনেকের কাছে সেদিনের দাঙ্গার ছবি রয়েছে। পুড়ে যাওয়া দোকান, যানবাহনের ছবি। কিন্তু সেসব ছবি কোথা থেকে আসলো, ছবিগুলো আসলে সেই দাঙ্গার কিনা সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই এলাকার বাসিন্দাদের। ওই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও জাতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে। এমন প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন ও দাঙ্গার ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনার প্রতিজ্ঞা করেন। ওই দাঙ্গার ঘটনায় রাজনৈতিক পটও কিছুটা পাল্টে যায়। রাজ্যের গভর্নর ও ভারতীয় জনতা পার্টির সাবেক নেতা কেশরী নাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ঘটনার কদিন পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এক ঘোষণায় জানান, সব ধর্মের প্রতিনিধি, স্থানীয় ক্লাব, ছাত্র-যুবদের নিয়ে রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচনী বুথ ভিত্তিক শান্তি বাহিনী তৈরী করবে পুলিশ প্রশাসন।কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য নজরদারির কাজ চালাবে এই বাহিনী। তবে বিরোধী দলগুলো মনে করছে নিজের প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই মমতা ব্যানার্জী শান্তি বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি'র কয়েকজন এমপি এবং বিরোধী দলীয় নেতাদের দাঙ্গা-বিধ্বস্ত এলাকায় যেতে সম্মতি দেয়নি রাজ্য সরকার এবং তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধও হন তারা। এলাকায় হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে যে সম্প্রীতি বিরাজ করছে তা প্রকাশের জন্য ব্যানার। রাজ্যটিতে ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের গভর্নর এবং বিজেপির অনেক নেতা। এমনকি তারা এটাও অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ক্ষমতায় থাকার জন্য 'মুসলিমদের সঙ্গে অতিরিক্ত সংহতি' প্রকাশ করছেন। ভারতে আসামে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান বাস করে, আসামের পর পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত মুসলিমদের সংখ্যা বেশি- রাজ্যটির জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশই মুসলমান। তবে মিস ব্যানার্জি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন যে "পশ্চিমবঙ্গ কখনোই সাম্প্রদায়িক কোনো কিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়নি"। তবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনার পর দেখা গেছে যে বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ধর্মের মানুষ 'একে অপরের সাহায্যে' এগিয়ে আসছে। বসিরহাট ও বাদুরিয়া সীমান্তে অবস্থিত দেগাঙ্গা শহরে ২০১০ সালে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। কিন্তু ওই এলাকার মানুষ সে ঘটনা ভুলে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে ও সব ধর্মের মানুষ একসাথেই চলছে। "মসজিদ থেকে মাত্র একশো মিটার দূরে আমাদের মন্দির" -বলছিলেন এলাকার কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অমর ব্যানার্জী। "শান্তিপূর্ণভাবে আমরা একসাথে প্রার্থনা করি। কিন্তু কিছু মানুষ রাজনৈতিক সুবিধা পাবার আশায় ধর্মকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করে যেটা খুবই উদ্বেগের বিষয়" -বলেন এই পুরোহিত। মসজিদ মন্দিরে যারা প্রার্থনা করতে আসা তারা মাগুরখালির দাঙ্গার ঘটনা কেন ঘটেছিল সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী। মসজিদটির কাছেই একটি বড় ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছে, যেখানে লেখা আছে যে ওই অঞ্চলে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস-আস্থা আছে, তারা বন্ধুর মতো একসাথে বাস করছে। মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ আজমত আলী বলছেন "যেখানেই আপনি যান না কেন হিন্দু -মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি দেখবেন। একটা ভালো সম্পর্ক দেখবেন। শুধু প্রতিবেশী নয় ব্যবসাক্ষেত্রেও পারস্পরিক বন্ধুত্ব বজায় রয়েছে সবার মধ্যে"। "তাহলে কে বলে যে আমরা দুই বিপরীত ধর্মের মানুষ?" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে টমেটো পাহারা দিচ্ছেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী লিচু খেয়ে শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী নিষিদ্ধ কীটনাশক স্ট্রোকে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণ 'অন্যায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছি', বললেন বরিশালের ডিসি | চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের এক রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্র কাবাঘর নিয়ে ফটোশপ করা এক ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর ওই ঘটনাটি ঘটে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ব্রিজ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তাস দিয়ে খেলতে হয় ব্রিজ। ৪৩তম ব্রিজ বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশ অংশ নিতে যাচ্ছে। আগামী ১২-২৬শে অগাস্ট ফ্রান্সে লিঁও শহরে অনুষ্ঠিত হবে ব্রিজ বিশ্বকাপের এই আসর। এবারের বিশ্ব আসরে ৮টি জোন থেকে মোট ২২টি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ছয় জন খেলোয়াড় ও একজন কোচসহ মোট সাত সদস্যের দল ফ্রান্স যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন জিয়াউল হক, আসিফুর রহমান চৌধুরী রাজিব, কামরুজ্জামান সোহাগ, রাশেদুল আহসান, মশিউর রহমান নাইম ও সাজিদ ইস্পাহানি। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে জোন-৪ এর যে খেলা হয়েছিল, তাতে রানার্সআপ হয়ে ব্রিজ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার স্বপ্ন পূরণ দুই বছর পরপর এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তিন বার কোয়ালিফাই করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। এবারে বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চল থেকে চারটি টিম কোয়ালিফাই করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অংশ নিচ্ছে দুটো দল - বাংলাদেশ ও ভারত। বাছাইপর্বের খেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জিয়াউল হক বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন যে বাছাই পর্ব খেলতে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম বাধাবিঘ্ন পার হতে হয়েছে তাদের - এমনকি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে একজন খেলোয়াড় কামরুজ্জামান সোহাগ দলের সাথে যেতে পারেননি। দলের মূল খেলোয়াড়কে ছাড়াই পাঁচজন খেলেছেন বাছাইপর্বে। বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ও ভারত কোয়ালিফাই করেছে। "শুরুর দিকে আমরা ভালো খেলছিলাম। কিন্তু একসময় আমাদের খেলা পড়ে গেল। তবে যেদিন আমাদের 'ডু অর ডাই' ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে - নয়তো আমরা কোয়ালিফাই করতে পারবো না - সেদিন জিতে আমাদের মনোবল বেড়ে গেল। এরপর আমরা ফাইনাল পর্যন্ত উঠলাম," বলছিলেন জিয়াউল হক। পাকিস্তান আর স্বাগতিক দুবাই এর মতো শক্তিশালী দলকে পিছনে ফেলে বাছাই পর্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়ে এশিয়া অঞ্চল থেকে এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ওয়ার্ল্ড ব্রিজ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশনের দাবি, ব্রিজ খেলার জন্য খেলোয়াড়দের অনুশীলনের কোনো জায়গা নেই - ট্রেনিংয়েরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে ভালো অনুশীলন করতে পারলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান। তবে খেলোয়াড়েরা বলছেন, সামাজিকভাবেও এই খেলাটাকে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। 'পরিবার একটুও সহজভাবে নিতো না' তাস দিয়ে খেলা হয় বলে ব্রিজ নিয়ে বাংলাদেশের সমাজে একটা নেতিবাচক ধারণা আছে, কারণ এখানকার মানুষ মনে করে যে তাস মানেই জুয়া। আর এ কারণে ব্রিজ খেলতে দেখলে বেশিরভাগ পরিবারই বাধা দিয়ে থাকে, ব্রিজ খেলোয়াড়দের প্রায় প্রত্যেকেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আসিফুর রহমান চৌধুরী রাজিব যেমন বলছিলেন, "বাংলাদেশের মতো দেশে তাস খেলা ভালোভাবে দেখাই হয় না। যখন ব্রিজ খেলা শুরু করি বাসা থেকেও ভালোভাবে নেয়নি। ব্রিজ খেলতে দেখলে মনে করতো জুয়া খেলছি। সমাজের মধ্যে এ চিন্তা থাকলেও এটা কিন্তু আসলে তা নয়। ব্রিজ খেলার সাথে জুয়া খেলার কোনো সম্পর্ক নেই"। "এই খেলাটা একেবারে আলাদা। এখানে ভাগ্যের কোনো বিষয় নেই। অন্য সব খেলার মতো ব্রিজ খেলারও একটা নিয়ম আছে, আকর্ষণ আছে। এই খেলার জন্য দরকার মেধা, হিসাব করার ক্ষমতা আর প্রখর স্মৃতিশক্তি," বলছিলেন মি: চৌধুরী। এই খেলার নিয়ম হলো নির্দিষ্ট কম্বিনেশনে যে সবচেয়ে ভালো খেলবে সেই ভালো স্কোর পাবে। এখানে ভালো কার্ড বা খারাপ কার্ডের কোনো বিষয় নেই। "ব্রিজ দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী স্বীকৃত মানসিক খেলা," মন্তব্য একজন খেলোয়াড়ের। তবে পার্টনার নির্ভর এই খেলার কারণে পরিবারের সহযোগিতা খুব কমই পাওয়া যায় বলে মন্তব্য খেলোয়াড়দের। "ব্রিজ নিয়ে একটা রসিকতা আছে। আমরা যারা বাংলাদেশে খেলি আমাদের বউরা বলে, ব্রিজ খেলা হলো সতীনের মতো। তারা বলে ব্রিজের পেছনে তোমরা যেভাবে সময় দাও আমাদেরতো সেভাবে দাও না," হাসতে হাসতে বলছিলেন জিয়াউল হক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নায়ক সালমান শাহ'র মৃত্যু: কী ঘটেছিল সেদিন মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কথা ভাবছে উত্তর কোরিয়া সমালোচনার মুখে ইরানে তিন নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ব্রিজ বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ দল। যারা যাচ্ছেন ব্রিজ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ছয় সদস্যের ব্রিজ বিশ্বকাপ দলে আছেন, দলনেতা সাজিদ ইস্পাহানি। তিনিই বাংলাদেশ ব্রিজ দলের স্পন্সর। তিনি ছাড়া বাকি পাঁচজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। যদিও তাঁরা একই বিভাগ ও একই বর্ষের ছাত্র ছিলেন না, কিন্তু সবাই ছিলেন শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র। মি: নাঈম বলছিলেন, এই খেলায় ফিজিক্যাল স্ট্যাবিলিটির থেকে মেন্টাল স্ট্যাবিলিটি অনেক বেশী প্রয়োজন। যাদের ইন্টারনেট সুবিধা আছে, তারা এ খেলায় উন্নতির অনেক সুযোগ পায়' - বলেন জিয়াউল হক। বাংলাদেশ ব্রিজ দলের এই খেলোয়াড়েরা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের অনুশীলন করেন। ব্রিজ বেস অনলাইন নামে একটি সাইটে চলে তাদের অনুশীলন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতা কম থাকায় শিরোপা জেতার আশা বাংলাদেশ ব্রিজ দলের না থাকলেও ভালো খেলা খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার স্বপ্ন তাঁদের সবার। যদিও বাংলাদেশে পেশাদার ব্রিজ খেলোয়াড় নেই, তবে আর্থসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টালে এ চিত্র বদলাতে বলে মনে করেন ব্রিজ খেলোয়াড়েরা। | বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাস খেলাকে সহজভাবে নেয় না অনেক পরিবার। কিন্তু এটা যে জুয়া খেলা নয়, এই খেলা খেলেও যে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া যায় সেই প্রমাণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্রিজ খেলোয়াড়রা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সামাজিক কুসস্কারের কারণে অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টি চেপে যান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন তাদের বেশির ভাগই কখনোই চিকিৎসা নিতে যান না। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের এক হিসাব বলছে, সবশেষ ২০১৮ সালে তাদের যে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে সে অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৮.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষই কোন ধরনের সেবা বা পরামর্শ নেন না। বাকি মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ মূল ধারার চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর সেখানে শুধু মানসিক রোগের চিকিৎসক নন বরং অন্যান্য চিকিৎসকও রয়েছেন। আর যারা চিকিৎসা নিতে যান তারাও সমস্যা দেখা দেয়ার প্রথম দিকে নয় বরং একেবারে শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। "কাছের মানুষরাও বুঝতে পারেনি" বর্তমানে এক সন্তানের মা নাসরুন নাহার। বরাবরই প্রচণ্ড আত্মনির্ভরশীল আর চাপা স্বভাবের মানুষ। তবে হঠাৎ করেই ২০১৭ সালে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বসেন তিনি। নাসরুন্নাহার বলেন, এই ঘটনার আগে তার কাছের মানুষজনও বুঝতে পারেননি যে, তিনি বিষণ্ণতার মতো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। "কাছের মানুষ এমনকি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডরাও জানতো না।" জানালার কাঁচ ভেঙে সেটি দিয়ে হাতের রগ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, "যেদিন সুইসাইড অ্যাটেম্পট করি তার আগের দিনও আমি কাজিনদের সাথে ট্যুর দিয়ে আসি।" নাসরুন নাহার বলেন, একেবারে শেষ স্তরে পৌঁছানোর পর যখন তিনি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে উঠেন তখন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। "আমাকে দুই দিন পাহারা দিয়ে রাখে যাতে আমি মরতে না পারি। একেবারে লাস্ট স্টেজে গিয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।" ছয়-সাত বছর আগে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়ার পর পোস্ট পার্টাম সাইকোসিস নামে মানসিক সমস্যায় ভুগেছিলেন উন্নয়নকর্মী নাদিয়া সারোয়াত। তিনি জানান, দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়ার ১৪-১৫ দিনের মাথায় তার যে সমস্যাটি দেখা দিয়েছিল সেটি হচ্ছে, নিজের সন্তানকেই চিনতে পারতেন না তিনি। খুঁজে বেড়াতেন তার প্রথম সন্তানকে। নাদিয়া সারোয়াতের সাথে যখন কথা হচ্ছিল তিনি জানান যে, অসুস্থ থাকার সময়টার অনেক বিষয়ই তিনি এখনও মনে করতে পারেন না। মানসিক সমস্যার জন্য ১০ দিন একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, সেসময় হাসপাতালের নার্সের হাতে মার পর্যন্ত খেতে হয়েছিল তাকে। "আমার ঘুম আসতো না। পুরো হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতাম। আর আমার বাচ্চাটাকে খুঁজতাম।" নাদিয়া সারোয়াত বলেন, বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের ভালভাবে দেখা হয় না। বিভিন্ন ভাবে তাদের হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। হাসপাতাল কর্মী বা যারা এর চিকিৎসার সাথে জড়িত তারাও মানসিক রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। "আমাদের দেশে তো মানসিক রোগী দেখলে পাগল বলে একটা বাচ্চাও ঢিল ছুঁড়ে মারে। তাদের অপদস্থ করার এক ধরনের মানসিকতা রয়েছে।" মানুষ চিকিৎসা নিতে যায় না কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে হেয় হওয়ার ভয়, স্বাস্থ্য সেবার অভাব এবং অসচতেনতার কারণে বিশাল পরিমাণ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার বাইরে রয়েছেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিন ধরনের কারণে মানুষ মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে যায় না। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে মানসিক সমস্যা গুরুতর হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম কারণ হিসেবে, সমাজের প্রচলিত স্টিগমাকে দায়ী করেন তিনি। মানসিক সমস্যা নিয়ে সমাজে এক ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, মানুষ এটাকে প্রকাশ করতে চায় না, লুকিয়ে রাখতে চায়। মানুষ মনে করে যে, মানসিক সমস্যা রয়েছে এটা প্রকাশিত হলে তারা সমাজের চোখে হেয় হয়ে যাবেন। "এ নিয়ে এক ধরনের স্টিগমা তাদের মধ্যে কাজ করে।" বলেন তিনি। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। মেডিকেল কলেজ কিংবা টারশিয়ারি পর্যায় ছাড়া আর কোথাও এই সেবা পাওয়া যায় না। বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে মাত্র দুটি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবে দেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য এই মুহূর্তে ২৭০ জন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট রয়েছেন মাত্র ২৫০ জন। যেটা অপ্রতুল। এক বছরে সাত থেকে ১০ জনের বেশি মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রস্তুত হচ্ছে না বলেও জানানো হয়। যার কারণে অনেকেই এই সেবা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তৃতীয় কারণ হিসেবে মি. আহমেদ মানুষের সাধারণ অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, "অনেক সময় মানুষ বোঝেই না যে, তার আচরণগত সমস্যাটি মানসিক কারণে হয়েছে।" বিপুল পরিমাণ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বাইরে থাকায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে এবং তারা এক পর্যায়ে সমাজের বোঝায় পরিণত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন বলেও মনে করেন হেলাল উদ্দিন আহমেদ। | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি মানসিক হাসপাতালে একজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর পর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি আবারো আলোচনায় এসেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ২,৫৮১ জনের মৃত্যু হল। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ২,০২,০৬৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১,৩৭৩ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১,১০,০৯৮ জন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৯২৯টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০,১৭,৬৭৪টি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় গত ২১শে জানুয়ারি। সেই হিসেবে ১০ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করতে বাংলাদেশের প্রায় ছয় মাস সময় লাগলো। গত ৮ই মার্চ স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আর কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর কথা প্রথম ঘোষণা করা হয় ১৮ই মার্চ। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২,৭০৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাংলাদেশিরা বলছেন, সেখানে বাচ্চাদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। হজ্ব ক্যাম্পে আসার পর ২৪ ঘণ্টা এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে নিজের দুই বাচ্চা নিয়ে বেশ বেকায়দাতেই তাকে পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি। "বড়রা সারাক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকতে পারে কিন্তু বাচ্চারা তো পারেনা," বলেন তিনি। তার মতে, এর চেয়ে তো চীনে থাকাটাই ভাল ছিল। পিএইচডি করতে স্বামী আর সন্তানদের সাথে চীনে গিয়েছিলেন ফারজানা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, তারা সুরক্ষার জন্য দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান। যাতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু হজক্যাম্পের পরিবেশ কোয়ারেন্টাইনের উপযুক্ত কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরই মধ্যে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ একটি কামরার মেঝেতে বিছানো সারিবদ্ধ বিছানায় থাকছেন। এভাবে তাদের রাখা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদেরকে ফিরিয়ে আনা নিয়েও নানা বিতর্ক হচ্ছে। মিসেস ইয়াসমিন বলছেন, "কোয়ারেন্টাইন তো করা হয় আলাদা আলাদাভাবে। এখন লোকের সংস্পর্শে এসেই যদি এরা কোয়ারেন্টাইন করে তাহলে এটা কি হলো?" "একই রুমের মধ্যে আমরা গ্যাদারিং করে পড়ে আছি। আমাদের রুমেই ৪০ থেকে ৫০ জন হব। এই রুমেই আছে ৮টা পরিবার। এদের মধ্যে বাচ্চারাও আছে। আবার ব্যাচেলরও আছে," তিনি জানান। ফারজানা ইয়াসমিন জানান, তার দুই বাচ্চার মধ্যে একজনের বয়স ১০ আর আরেক জনের বয়স ৩ বছর। "গরম পানির ব্যবস্থা নেই। দুধটা খাওয়াবো সেটা খাওয়ানোর মতোও পানি নেই," তিনি বলেন। তবে রোগ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তিনি কিছুটা কম ভয় পাচ্ছেন বলেন জানান। তারা বলছেন যে, তারা এরইমধ্যে চীনে থাকার সময়ই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কম রয়েছে। চীনফেরত বাংলাদেশিদের বিআরটিসির কয়েকটি বাসে করে আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। "প্রথম অ্যাটাক করার পর থেকেই আমরা চীনে ছিলাম। তাই যাদের অ্যাটাক করার কথা তাদের এরইমধ্যে উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার কথা। যেমন আমাদের সাথে যারা আসছিল তাদের মধ্যে দুই জনের মধ্যে জ্বর ছিল বলে তাদের চীন আসতে দেয়নি। এজন্য ভয়টা একটু কম," তিনি বলেন। স্বামী আগে দেশে ফিরলেও নিজের পিএইচডি শেষ না হওয়ায় চীনের উহানে থেকে গিয়েছিলেন শামীমা সুলতানা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর দুই সন্তানের সাথে বাংলাদেশে ফিরেছেন তিনি। তিনি বলছেন, এখানে এসে ভাল নেই তারা। "কোয়ারেন্টাইন বলতে যা বোঝায় সেটা হচ্ছে বিচ্ছিন্ন রাখা। তো সেটাতো এখানে দেখছি না," তিনি বলেন। "কালকে থেকে এ পর্যন্ত যেটা দেখলাম তাতে আমার মনে হচ্ছে যে অব্যবস্থাপনার একটা বিষয় আছে। কাল থেকে যে খাবারগুলো আসছে সে খাবারগুলোর প্যাকেটও এখনো পড়ে আছে"। রুম থেকে বের করে মশা মারার জন্য ধোঁয়া দিয়েছিল। এটাও আমরা আসার আগে করলে ভাল হতো। রাকিবিল তুর্য, তিনিও এসেছেন উহান থেকে। আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি। হজ্ব ক্যাম্পের মধ্যে অনেক জনকে একসাথে রাখার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। মিস্টার তুর্য জানান, এক রুমে এক সাথে ৫১ জন রয়েছেন তারা। হজ ক্যাম্পের মোট তিনটি ফ্লোরে রাখা হয়েছে চীন ফেরত বাংলাদেশিদের। এরমধ্যে তিনি যে ফ্লোরে রয়েছেন সেখানে তিন রুম রয়েছে। তিনি জানান, তিন রুমের জন্য দুটি টয়লেট আর দুটি ওয়াশরুম। রয়েছে পানির সংকটও। মাস্ক দেয়া হয়েছে সবাই। তবে মিস্টার তুর্য বলেন, একই রুমে যদি গণরুমের মতো ৫০ জন করে থাকতে হয় তাহলে বাংলাদেশে এসে লাভটা কী হলো। "কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস থেকে থাকে তাহলে সেটা সবার মধ্যেই সংক্রমিত হবে। কারণ সবাই এক সাথে আছে। এটারই ভয় পাচ্ছি," তিনি বলেন। | "চীন থেকে আসার জন্য উদগ্রীব ছিলাম আমাদের বাচ্চাদের জন্য। কিন্তু এখানে এসে দেখি বাচ্চাদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা করা হয়নি," অনেকটা আক্ষেপের সুরে একথা বলছিলেন আশকোনায় হজ ক্যাম্পে থাকা দুই সন্তানের মা ফারজানা ইয়াসমিন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভাতিজা ভাতিজীদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন খালিদ কিন্তু তার পরিবারের ১৯ সদস্য বন্দী ছিলো। পরের চার বছরে তিনি ৯০ হাজার ডলার দিয়ে তিনি ফেরত পেয়েছেন পরিবারের দশ সদস্যকে। কিন্তু এখন আইএসের পরাজয়ের পর তার ভয় যে পরিবারের বাকীদের হয়তো জীবিত আর পাবেননা তিনি। গত বছর ২৬শে সেপ্টেম্বর উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চলের শারিয়াতে একটি লাল রংয়ের পিক আপ আসে যার মধ্যে ছিলো ১৬ বছর বয়সী শাইমা। তিন বছর আইএসের হাতে আটকে থাকার পর ফিরে আসেন তিনি। আর আটক থাকার সময় তাকে বারবার বিক্রি করা হয়েছিলো আইএস এর এক যোদ্ধা থেকে আরেক যোদ্ধার কাছে। শাইমা হাতে টাট্টু একেঁ দিয়েছিলো জিম্মিকারীরা অবশেষে তার চাচা খালিদ তাকে ফিরে পেয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ডলারের বিনিময়ে। ২০১৪ সালের ২রা অগাস্ট এই আইএস যখন তাদের সিনজার শহরে যায় সেই রাতের কথা স্পষ্টই মনে আছে খালিদের। এরপরের সময়টা বিভীষিকার। "পরদিন সকালের নাস্তার আগেই আমরা চিৎকার শুনছিলাম। দরজা খুলে দেখলাম লোকজন পালাচ্ছে। তাদের জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। জবাব দিলো আইএস আসছে"। খালিদের গাড়ি ছিলোনা কিন্তু তার জেনারেটরের চার লিটার তেল প্রতিবেশীকে দেয়ার বিনিময়ে তাদের গাড়িতে ঠাঁই হলো খালিদ, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছয় সন্তানের"। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরেই মনে হলো খালিদ ল্যাপটপ, গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ ও নগদ টাকা ফেলে এসেছে। খালিদের স্ত্রী তাকে আর ফেরত যেতে দিতে রাজী হচ্ছিলোনা। পরে তাদের এক পুত্র ফেরত যায়। অন্যদিকে যাওয়ার পথেই খালিদের ভাই আর তার এক পুত্র তাদের সাথে যোগ দেয়। পরে আইএস খালিদের ভাইয়ের পরিবারের অন্যদের তুলে নেয়। এই নারী ও শিশু এখন শারিয়ায় নিরাপদ অবস্থানে আছে পরে একটি ট্রাক যোগে তারা সীমান্তের দিকে যায় এবং বাড়ি ছাড়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা শারিয়ায় পৌঁছায়। কিন্তু এর মধ্যেই আইএসের হাতে পড়ে বন্দী হয় তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্য সহ অনেকেই। পরের বছর খালিদের কাছে একটি তথ্য আসে যে আইএস বন্দী নারী ও শিশুদের সরিয়ে নিচ্ছে এবং ম্যাসেজিং অ্যাপসে ছবি দিয়ে বিক্রির জন্য মূল্য বলছে। খালিদ এরপর কিছু চোরাচালানীর সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টার পর গত বছর প্রায় ৯০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা করেন এবং পরিবারর ১০ সদস্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। আটক থাকার সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবেন এই নারী যার মধ্যে সর্বশেষ এসেছে শাইমা। খালিদ বিবিসিকে বলেছেন তিনি আইএস জঙ্গিদের সাথে সরাসরি কোন কথা বলেননি। বরং যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছিলো। ইরাক ও সিরিয়ায় আবার কিছু এজেন্সি তৈরি হয়েছিলো যারা এসব বিষয়ে অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করে। শাইমাকে ফেরত পেতে খালিদের সময় লেগেছিলো তিন মাসেরও বেশি সময়। | ইরাকে কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-র আক্রমণের পর ২০১৪ সালে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছিলেন খালিদ তালু খুদুর আল আলী। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সবশেষ মুখমন্ডল প্রতিস্থাপনের পর কথা বলছেন জেরোম হ্যামন তেতাল্লিশ বছর বয়স্ক মি. ল্যামনের মুখমন্ডল প্রথমবার প্রতিস্থাপন করা হয় ২০১০ সালে। দ্বিতীয়টি করা হয় গত বছর। প্রথম অপারেশন সফল হয়েছিল কিন্তু ২০১৫ সালে ঠান্ডা লেগে তার সংক্রমণ হবার পর তাকে এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। কিন্তু তার প্রতিস্থাপিত মুখমন্ডল সেই এন্টিবায়োটিককে গ্রহণ করছিল না- ফলে দেখা দেয় জটিলতা। প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় ২০১৬ সালে, আর গত বছর নভেম্বরে তার প্রতিস্থাপিত মুখে নেক্রোসিস দেখা দেয়, অর্থাৎ সেই মুখের টিস্যুগুলো মরে যেতে থাকে। ফলে তার সেই বসিয়ে দেয়া মুখটিকে কেটে বাদ দিতে হয়। এর পর শুরু হয় তার মুখে নতুন করে বসানোর জন্য নতুন আরেকটি মুখের সন্ধান। কিন্তু এমন দাতা পাওয়া যাচ্ছিল না যার মুখমন্ডলকে জেরোমের শরীর 'মেনে নেবে'। এই দু'মাস সময় জেরোমকে 'মুখমন্ডল-বিহীন অবস্থায়' জর্জ পম্পিডু হাসপাতালে একটি কক্ষে থাকতে হয়। এই সময়টা তার কোন মুখ ছিল না। তিনি কিছু দেখতে পেতেন না, শুনতে পেতেন না বা কোন কথাও বলতে পারতেন না। এ অবস্থা চলেছে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। সেই মাসেই একজন দাতা পাওয়া যায়, এবং দ্বিতীয় বারের মতো তার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপন করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, ব্যবসায়ী আটক মেক্সিকো সীমান্তে ছ'মাসে ১৭১ বাংলাদেশি আটক সৌদি আরবে নিষিদ্ধ সিনেমা হঠাৎ কেন বৈধ হয়ে গেল? জেরোম হ্যামনের 'তিন মুখের' ছবির সামনে প্রফেসর লাঁতিয়েরি পর পর দু'বার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপনের অপারেশন হয়েছে - পৃথিবীতে এমন একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন এই জেরোম হ্যামন। এ অপারেশনের আগে বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে তার রক্ত শোধন করা হয়। ফরাসী সংবাদ মাধ্যম তার নাম দিয়েছে 'তিন মুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি।' এখন জেরোম হ্যামনের নতুন মুখটি মসৃণ এবং নড়াচড়া করে না। তবে তার মাথার খুলি, চামড়া, এবং চোখমুখ এখনো পুরোপুরি যথাযথ অবস্থানে আসে নি। তিনি এখনো হাসপাতালে। সেখান থেকেই এক সাক্ষাতকারে তিনি ফরাসী টিভিকে বলেন, তিনি আশাবাদী যে তিনি ভালোভাবেই সেরে উঠবেন। "আমি আমার নতুন মুখকে মেনে না নিলে তা একটা ভয়াবহ ব্যাপার হতো। এটা আমার পরিচয়ের প্রশ্ন ।তবে যাই বলুন, আমার ভালো লাগছে, এটাই আমি।" "আমার বয়েস ৪৩। আমার মুখ দাতার বয়েস ছিলো ২২, তাই আমার বয়েসও এখন ২২।" অপারেশনটি করেছেন যে ডাক্তার সেই অধ্যাপক লরাঁ লাঁতিয়েরি বলেন, এখন আমরা জানি যে দু দুবার মুখ প্রতিস্থাপন সম্ভব - এটা এখন আর কোন গবেষণার ব্যাপার নয়। তবে যার মুখে এই অপারেশন হয়েছে তার এই পুরো ব্যাপারটা সহ্য করার যে সাহস - তা সত্যি অসাধারণ, বলেন তিনি। উত্তর ফ্রান্সেই প্রথম মুখমন্ডল প্রতিস্থাপন অপারেশন হয়েছিল ২০০৫ সালে। এর পর বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ৪০টি এমন অপারেশন হয়েছে। | পৃথিবীতে এই প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির দু'বার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপনের অপারেশন হবার পর - তিন মাসের মাখায় জেরোম হ্যামন নামের ওই ব্যক্তি বলছেন, তিনি এখন ভালো বোধ করছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | শামীমা বেগম এসডিএফ হলো মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আইএস বিরোধী গ্রুপ যারা বর্তমানে মিজ বেগম যে শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছেন তার তদারকি করছেন। কুর্দি রেড ক্রিসেন্টের একজন প্যারামেডিক বিবিসিকে বলেছেন, তিন সপ্তাহের কম বয়সী শিশুটির ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার সে মারা যায়। এর আগে শামীমা বেগমের পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি এক টুইট বার্তায় বলেন, তার কাছে জোরালো কিন্তু নিশ্চিত-করা-হয়নি এমন রিপোর্ট এসেছে যে শামীমা বেগমের প্রায় দু-সপ্তাহ বয়সী পুত্রসন্তানটির মৃত্যু হয়েছে। মি: আকুঞ্জি তার টুইটে শামীমা বেগমের পুত্রসন্তানকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেন। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার এক স্কুলের ছাত্রী শামীমা বেগম ২০১৫ সালে তার আরো দুই বান্ধবীসহ তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। সেখানে তিনি ডাচ বংশোদ্ভূত এক জিহাদিকে বিয়ে করেন এবং তাদের প্রথম দুটি সন্তানও এর আগেই মারা যায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমা দেশে ফিরতে চান আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জির টুইট বার্তা এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে - যখন ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফত বিলুপ্তপ্রায় - তখন সিরিয়ার বাঘুজে এক শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পান দ্য টাইমস পত্রিকার এক সাংবাদিক। শামীমা বেগম ব্রিটেনে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম বলেছিলেন তিনি সিরিয়ায় যাবার জন্য অনুতপ্ত নন, তবে তাদের সব কর্মকান্ডের সাথে একমতও নন। তার কথায়, তিনি আইএসের পোস্টার গার্ল হতে চান নি, তিনি শুধু যুক্তরাজ্যে একান্তে তার সন্তানকে বড় করতে চান। | ব্রিটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে যাওয়া ইসলামিক স্টেটের জিহাদি-বধূ শামীমা বেগমের কিছুদিন আগে জন্মানো শিশু সন্তানটি মারা গেছে। শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করেছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএফ- এর একজন মুখপাত্র। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ফেসবুক পোস্টের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী কোন শিক্ষক গ্রেফতার হলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নিয়ম আছে। উনি সরকারের কাস্টডিতে থাকায় কোন একাডেমিক কাজে অংশ নিতে পারছেন না। এজন্যই তাকে এই সাময়িক বরখাস্ত দেখাতে হয়েছে।" "এটা কোন শাস্তি নয়। এটা একটা সাময়িক ব্যবস্থা। জামিন পাওয়ার পর উনি আবেদন জানালে আবার পুনর্বহাল করা হবে। " নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিতর্কিত ৫৭ ধারাটিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯ ও ২০ ধারার সংযুক্তি তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক। আরো পড়তে পারেন: "সাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে ৪৯ দিন বেঁচেছিলাম" 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর লোক, আমার বাবা এমপি' কমলা কাটলে বেগুনি হওয়ার রহস্য উদঘাটন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গত জুলাই মাসে মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে হাটহাজারি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার এক সদস্য। এরপর মাইদুল ইসলামের আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত আট সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। সোমবার সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাইদুল ইসলাম। সেখানে তিনি জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানালেও মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে আইনজীবী ভুলন ভৌমিক বলেন, "ফেসবুকের যে দুটি পোস্টের জেরে মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধান বা অন্য কারো কোন নাম নেই। ৫৭ ধারার কোন উপাদান এই মামলাতে পড়ে না।" "ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মাত্র, যেটা কীনা একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। ছাত্রলীগ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলাটি করেছে। মাইদুল ইসলাম কোন অপরাধ করেন নাই। আমরা এখন উচ্চ আদালতে তার জামিনের জন্য পুনরায় আবেদন জানাবো।" ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে কোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে এভাবে গ্রেফতার বা বরখাস্তের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় কারাভোগের পাশাপাশি বরখাস্ত হয়েছিলেন গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। আরও পড়তে পারেন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: উদ্বেগ কোথায়? বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারে ভয় কেন? পত্রিকা-টিভির মালিকরাও এখন ৫৭ ধারা বাতিল চাইছেন একই ধরনের ঘটনায় সর্বশেষ মাইদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের যে সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তার মুক্তি ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে একটি বিবৃতিতে সই করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ জন শিক্ষক। এ ধরনের "নিপীড়নমূলক চর্চার মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিন্ন মতের দমন করা হচ্ছে" বলে উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে আমরা স্বাধীন জ্ঞানচর্চা করতে পারবো, যেখানে রাষ্ট্র বা সরকারকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সুযোগ আছে, যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের ক্রিটিকালি দেখার চোখ তৈরি করার কাজ করি। এভাবে শিক্ষকদের গ্রেফতার ও বরখাস্তের মাধ্যমে আমাদের কাজের জায়গা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।" মির্জা তাসলিমা সুলতানা আরও বলেন, "আমরা তো শিক্ষার্থীদের তাহলে কিছু শেখাতে পারবো না। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে সমালোচনার কোন জায়গা রাখতেই দেয়া হচ্ছে না। সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু এটা না থাকলে যে কোন জায়গা থেকে ক্রুটি হতেই থাকবে। সবধরনের কথা বলার যদি সুযোগই না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় নামের প্রতিষ্ঠান থাকার কোন দরকার নেই।" বাংলাদেশের উচ্চ আদালত। ওই বিবৃতিতে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সদস্যরা মাইদুল ইসলামসহ আরেক শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানায়। এমন অবস্থায় ওই দুই শিক্ষক ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন এবং নিরাপত্তা চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। | বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতারের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | এই মানচিত্রে দেখানো হয়েছে কোন দেশের মানুষ কতটা শারীরিকভাবে সক্রিয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ দিনের সমান, মিনিট ধরে ধরে ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গড়ে পৃথিবীতে মানুষ দিনে ৪৯৬১টি পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে হংকংয়ের মানুষ গড়ে সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ নেয়। তারা দিনে ৬৮৮০বার পা ফেলে। র্যাঙ্কিংয়ের একেবারে নিচে আছে ইন্দোনেশিয়া। সে দেশের মানুষ গড়ে দিনে মাত্র ৩৫১৩টি পদক্ষেপ নেয়। এই গবেষণা থেকে আরও নানা তথ্য পাওয়া গেছে, যা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। জাপানের মতো দেশ - যেখানে স্থূলতা বা সামাজিক বৈষম্যের সমস্যা কম - সেখানে দেখা গেছে মহিলা ও পুরুষরা প্রায় সমান শারীরিক অনুশীলন করে। হাঁটা কখন কতটা সহজ, তার চার্ট কিন্তু আমেরিকা বা সৌদি আরবের মতো যেখানে বৈষম্য বেশি, সেখানে মেয়েরা কম সময় শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে। গবেষণায় অমেরিকার ৬৯টি শহরে পায়ে হেঁটে কতটা চলা যায়, সেই পরীক্ষাও চালানো হয়েছে। দেখা গেছে নিউ ইয়র্ক বা সান ফ্রান্সিসকোর মতো শহর বেশ পথচারী-বান্ধব, সেখানে পায়ে হেঁটে অনেক কিছুই করা যায়। কিন্তু হিউস্টন বা মেমফিসের মতো শহরে গাড়ি ছাড়া কার্যত এক পা-ও চলার জো নেই। স্বভাবতই যে সব শহরে হাঁটা তুলনায় সহজ, সেখানেই মানুষ বেশি হাঁটে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। আমাদের পেজে আরও পড়ুন : 'ফরহাদ মজহারের বক্তব্য আর তদন্ত মিলছে না' এতো এতো পুরনো কাপড় কোথায় যায়? কাশ্মীরে লস্করের 'হিন্দু জঙ্গি' সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে | সারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে মানুষের স্মার্টফোন থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করে মার্কিন বিজ্ঞানীরা দেখতে চেষ্টা করেছেন কোন দেশের লোক শারীরিকভাবে কতটা সক্রিয়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মডেল নাসতিয়া রিবকা প্রমোদ তরীতে এক ভ্রমণে গিয়ে জড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প-রাশিয়া ইস্যুর বিতর্কে সেই ধনকুবের ব্যক্তি ছিলেন ওলেগ দেরিপাসকা যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এবং একজন ক্ষমতাধর মিত্র। পরে এই মডেল দাবি করেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিলেছে তার হাতে। রিবকা একজন বেলারুশিয়ান মডেল এবং তার আসল নাম আনাসতাসিয়া ভাসুকেভিচ। থাইল্যান্ডের জেলখানায় প্রায় একবছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। এই ঘটনাটিকে তিনি দেখছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক বিষয় হিসেবে। "আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। সে খুবই আকর্ষণীয় পুরুষ এবং তার দারুণ সুন্দর দুটি চোখ। সুতরাং কেন নয়?" ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মিস্টার দেরিপাসকা সম্পর্কে মস্কোতে বিবিসির রুশ বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেন রিবকা । বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: একুশের বইমেলায় ভিন্নমতের বই কতটা বেরুচ্ছে? শপথ নিলেও কি সুলতান মনসুর এমপি থাকতে পারবেন? ফেসবুকে জানান দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা: স্ত্রী আটক নাইকির জুতোয় “আল্লাহু” এবং আরো লোগো বিতর্ক মডেল নাসতিয়া মস্কোর কোর্টে হাজির হন জানুয়ারি মাসে রিবকা জানান যে তিনি কেবল মি. দেরিপাসাকার প্রমোদ তরীতে যেতে চেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তার সেই চাওয়া পূর্ণ হয়। কিন্তু এ নিয়ে মুখ খোলায় মিস্টার দেরিপাসকার দুঃখ ছাড়া আর কিছু মেলেনি। গতবছর এই ধনকুবেরসহ অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কষাঘাত আসে। পরে দেখা যায় তার সাথে পল ম্যানাফোর্টের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল আর পল ম্যানাফোর্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারকার্যের সাবেক চেয়ারম্যান। রিবকা বলেন, "তার অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে, আমার ধারণা আমিই সেসব সমস্যার শুরু করেছি, আমিই এর সূচনাকারী"। তার অভিযোগ অস্বীকার করেন এই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করার দায়ে এই মডেল এবং তার তথাকথিত গুরু আলেকজান্দার কিরিলভের বিরুদ্ধে মামলা করেন । কিভাবে থাই কারাগারে বন্দী হলেন এক বছর আগে নাসতিয়া রিবকার বই এবং ছবিসহ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যেসমস্ত মানুষদের সাথে প্রমোদ তরীতে তার দেখা হয় তাদের সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দিতে থাকেন যা বিরোধী রাজনীতিক অ্যালেক্সেই নাভালনির দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি নিজে প্রেসিডেন্ট অফিসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেন। ইন্টারনেটে পোস্ট করার পরপরই মিস্টার দেরিপাসকা প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন। এরপর রিবকা এবং আলেকজান্দার কিরিলোভ থাইল্যান্ডে যান "সেক্স ট্রেনিং" নামে সেশনে অংশ নিতে। ২০১৮ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিনা অনুমতিতে প্রবেশ এবং কাজের জন্য তারা দু'জনই গ্রেপ্তার হন, পরে অবশ্য তা পরিবর্তন করে যৌনসেবা প্রদান করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। নাসতিয়া এবং তার কথিত গুরুকে জানুয়ারি মাসে থাইল্যান্ড থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এফবিআইর কাছে কেন আবেদন করলেন রিবকা গ্রেফতার হওয়ার পরপরই রিবকা ভেবেছিলেন আমেরিকানরা তাকে সাহায্য করতে পারে। পুলিশ ভ্যানে করা একটি ভিডিও মার্কিন গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তিনি । তিনি জানান, রাশিয়ান স্থাপনা, পল ম্যানাফোর্ট এবং ট্রাম্প ক্যাম্পেইন বিষয়ে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে । একসময় আমেরিকানদের কাছে সহায়তা চাইলেও এখন তিনি বলছেন যে তাকে কারাবন্দী করার জন্য আমেরিকানরাই দায়ী। তার বক্তব্য: "আমেরিকানরা হয়তো ভয় পেয়েছিল যে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আমি হয়তো কিছু জানি।" "এফবিআই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে আমার কাছে মি ট্রাম্প, ম্যানাফোর্ট, দেরিপাসকার জীবন সম্পর্কে কী আছে। বহু মানুষ আসতো এবং একই প্রশ্ন করতো। এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে কোন বিষয়টি আমার জন্য বিপদজনক। আমি সেগুলো মিস্টার দেরিপাসকার কাছে পাঠিয়ে দিলাম।" তার কাছে আসলে কী ছিল এবং মি. দেরিপাসকা কখনো কিছু পেয়েছিলেন কিনা সেটা অবশ্য জানা যায়নি। চলতি বছরের ১৭ই জানুয়ারি তার সাজার স্থগিতাদেশ আসে এবং তাদেরকে থাইল্যান্ড থেকে নির্বাসিত করা হয়। রাশিয়া পৌঁছানোর পর তাদের আবার গ্রেপ্তার করা হয় যৌন ব্যবসায় লোকজনকে প্ররোচিত করার অভিযোগে। তাকে গ্রেপ্তার করার ভিডিও তার আইনজীবী ইনস্টাগ্রামে ছেড়ে দেন। দু'দিন পর দু'জনকেই রুশ হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়া হয়। রিবকা জানান তার কাছে কোন গোপন তথ্য আদৌ ছিল না। "আমার কাছে আর কোন কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোনও নেই।" তার মুক্তির জন্য কারো সাথে কোন আপোষ রফার বিষয় তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে তাদের সমস্ত বিপদ আপদের জন্য তারা বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে দোষারোপ করছেন। তাহলে এক বছর আগে নাসতিয়া কেন বলেছিলেন যে ওলেগ দেরিপাসকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সরকারের ভূমিকায় জড়িত ছিলেন? এর উত্তরে তার সাফ জবাব "আমি এই প্রশ্নে উত্তর দিতে পারছি না"। | একজন রুশ বিলিয়নিয়ারের সাথে তার প্রমোদ তরীতে পার্টিতে যোগ দিয়ে সেখানে মাত্র কয়েকটি দিন কাটিয়েছিলেন নাসতিয়া রিবকা এবং এবিষয়টি গর্ব করে পৃথিবীকে জানিয়েছিলেন তিনি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | শিম্পাঞ্জিদের আচরণ থেকে আধুনিক রাজনীতিকরা অনেক কিছু শিখতে পারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক জেমস টিলে তার গবেষণায় দেখেছেন শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা যায়, তা থেকে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে। ১. বন্ধুদের কাছে রাখো, কিন্তু শত্রুকে রাখো আরো কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না আমি আর তুমি একসাথে রাজনীতি করছি! শিম্পাঞ্জিদের রাজনীতিতে হরদম দলবদল চলতে থাকে। ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছুতে তারা বন্ধুকে বাদ দিয়ে শত্রুর সাথে মিত্রতা করে। তবে অধিকাংশ সময় শুধুমাত্র নিজের সুবিধার জন্য তারা শত্রুর সাথে সমঝোতা করে। আরও পড়ুন: ভাসমান টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসের সরবরাহ ঈদের আগে বেরিয়ে আসছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীরা ২. জোট গঠনের জন্য তোমার চেয়ে দুর্বল কাউকে বাছো শক্তিতে সমান সমান হলে, ভাগাভাগিও হয় সমান সমান শিম্পাঞ্জিরা জেতার জন্য কোয়ালিশন তৈরি করে, কিন্তু সেই জোটে একজন দুর্বল শিম্পাঞ্জি তার চেয়ে শক্তিধর কাউকে নেয় না। যেটা বরঞ্চ দেখা যায় - দুটি দুর্বল শিম্পাঞ্জি এক হয়ে তাদের চেয়ে শক্তিধর কারো পেছনে লাগছে। কারণটা খুব সহজ - আমি যদি আমার চেয়ে দুর্বলতর কারো সাথে জোট করি এবং সেই জোট গঠনের যে প্রাপ্তি, তার ভাগাভাগিতে আমার অংশে বেশিটা আসবে। জোটের সদস্য আমার চেয়ে শক্তিধর হলে আমার ভাগে কম আসবে। ৩. ভীতিকর ইমেজ ভালো, কিন্তু আরো ভালো প্রিয়পাত্র হওয়া প্রিয়পাত্র হতে পারলে, রাজনীতিতে সুবিধা হয় শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে দল নেতারা শক্তি, নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে শাসন করে, কিন্তু এসব নেতা বেশিদিন টেকে না। সেই দলনেতারাই সফল হয়, তারাই বেশিদিন টেকে, যারা দলের ভেতর সমর্থক তৈরির চেষ্টা করে, সমর্থকদের নিয়ে দলের মধ্যে নিজের একটি জোট তৈরির চেষ্টা করে। শিম্পাঞ্জি দল নেতারা জানে, বেশিদিন প্রাধান্য টিকিয়ে রাখতে শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি তাকে নমনীয় এবং সহিষ্ণু হতে হবে। ৪. প্রিয়পাত্র হওয়া ভালো, কিন্তু উপহার উৎকোচও দিতে হবে শুধু তোমার জন্য বন্ধু শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে যে দলনেতারা অনেকদিন নেতৃত্ব বজায় রাখে তাদেরকে সমর্থন কিনতে হয়। শিকারের খাবার নিয়ে এসে দলের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করতে হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ বছর নেতৃত্ব করেছিল এমন এক দলনেতা শিকার করে এনে সেই মাংস দলের অন্যদের ভাগ দিতো। ৫. বাইরের হুমকি নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে বহিঃশত্রু, বাইরের হুমকি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখে বানর প্রজাতির মধ্যে দেখা যায়, বাইরে থেকে যখন হুমকি আসে তখন দলের মধ্যে বিভেদ রেষারেষি ভুলে তারা একতাবদ্ধ হয়ে ওঠে। তবে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বহিঃশত্রুর কৃত্রিম হুমকি মানুষের সমাজে তেমন কাজ করে না - এমন দৃষ্টান্ত বহু রয়েছে। মানুষ শত্রুতা ভুলে তখনই ঐক্যবদ্ধ হয়, যখন সে সত্যিকারের হুমকি দেখে। | আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সাথে বানর প্রজাতির যে সব প্রাণী রয়েছে তাদের রাজনৈতিক জীবনের অবিশ্বাস্য মিল রয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ঘরের কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। প্রথম দফায় ৬৬ হাজারের বেশি মানুষকে ঘর দেয়া হলেও দ্বিতীয় দফায় আগামী মাসে আরো এক লক্ষ ঘর তৈরি করে দেয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যাদের ঘর দেয়ার জন্য বাছাই করা হচ্ছে তাদের যদি ঐ এলাকাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সরকারের এই কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় কাঁঠালতলা গ্রামে বাসিন্দা রিনা পারভিন। সরকার সারা দেশে যে হাজার হাজার ঘর তৈরি করেছে তার একটির মালিক তিনি। আগে স্বামী, ছেলে এবং শাশুড়ি নিয়ে একটা কুঁড়ে ঘরে থাকতেন এখন পেয়েছেন দুটো কামরা, রান্নাঘর, টয়লেট বারান্দাসহ একটা ঘর। "আমরা ঘরে থাকতাম, আমার শাশুড়ি বারান্দায় থাকতো। আমার স্বামী দিনমজুর। ছেলে ক্লাস এইট-এ (অষ্টম শ্রেণীতে) পড়ে। অভাবের সংসারে কোনদিন চিন্তা করিনি নিজের বাড়ি ঘর হবে। কিন্তু এখন দুটো ঘর হয়েছে। আর কাউকে বারান্দায় থাকতে হবে না এখন," বলছিলেন রিনা পারভিন। কীভাবে বাছাই করা হল: এসব বাড়িঘর ছাড়াও ৩৬টি উপজেলায় ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে আরও ৩,৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা করা মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সব মিলিয়ে ৬৯,৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। খাস জমিতে দুই কামড়ার ঘর তৈরি করা হয়েছে সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক মাহবুব হোসেন বলছিলেন, প্রতিটি জেলার স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে ভূমিহীন এবং গৃহহীন ব্যক্তিদের একটা তালিকা তৈরি করা হয়। "আমরা স্থানীয় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, যার সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তর-সংস্থা, জনপ্রতিনিধি সবাই সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের মাধ্যমে তালিকা করা হয়। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ৬৪টা জেলার ৪৯২টা উপজেলায় ভূমিহীন-গৃহহীন যে পরিবারের সংখ্যা সেটা আমরা পেয়েছি তা হলো ২,৯৩,৩৬১ জন," বলছিলেন তিনি। এই সংক্রান্ত একটা নীতিমালা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রকল্প পরিচালক। "আমরা একটা নীতিমালা করেছি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে। সেই নীতিমালায় বলা আছে বিধবা, প্রতিবন্ধী, অসহায়, বয়স্ক তাদের অগ্রাধিকার দিবে। আবার এই তালিকা থেকে যারা অতি-দরিদ্র তাদের জন্য আগে ঘরটা করে দেয়া হয়েছে।" অর্থ বরাদ্দ: প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয় স্থানীয় প্রশাসন এবং ঘর পাওয়া এসব মানুষ প্রতিটা উপজেলার- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে এবং কোন টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া খাস জমিতে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি: অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু তাদের কর্মসংস্থান যদি একই স্থানে না হয় তাহলে এই উদ্যোগের সুফল অনেক ক্ষেত্রে নাও পাওয়া যেতে পারে। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলছিলেন, "আমাদের প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে মানুষ কিন্তু যেখানে কাজ সেখানে থাকতে চায়। যখন মানুষের গ্রামে কাজ না থাকে তারা তখন বাড়ী-ঘর ফেলে শহরে চলে যায়। "শহরে যেয়ে তারা কাজের খোঁজ করে এবং বাড়িঘরে তালা মারা থাকে। সেক্ষেত্রে এটা কোন কাজে লাগবে না।" তবে কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণের সুবিধা এবং প্রশিক্ষণের সুবিধা দেয়া হবে বলে জানাচ্ছেন প্রকল্প পরিচালক মাহাবুব হোসেন। এছাড়া আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছর যাতে তারা ঘর বিক্রি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রকল্পের পরিচালক বলছেন, সরকার খাস জমির বন্দোবস্ত করলে সেটা আর বিক্রি করা যায় না। অর্থাৎ যারা আজ ঘর পেয়েছেন তারা এই ঘর বিক্রি করতে পারবেন না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: | বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে ৬৬,১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আধা-পাকা ঘর দিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ড. জাহিদ মালেক এবং মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রথমদিকে এককভাবেই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আসছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও এতে যোগ দিচ্ছিলেন। যদিও পূর্ব নির্ধারিত ব্রিফিংয়েই প্রতিদিনকার তথ্য জানানো হয়, কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী মি. মালেক সোমবার এক অনির্ধারিত অনুষ্ঠানে আকস্মিকভাবেই নতুন আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন গত চব্বিশ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তার উল্লেখ করা নতুন শনাক্ত রোগী ছিলেন ২৯ জন, এই সংখ্যাও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু এর দুই ঘণ্টা পর নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩ জন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। স্পষ্টতই দুই রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে দুজনের কাছ থেকে, যদিও দুজনেই দায়িত্বশীল পদে আছেন এবং এই দুজনের যে কোন একজনের দেয়া তথ্যই এতদিন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য তথ্য হিসেবে গণ্য করে আসা হচ্ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে জাহিদ মালেকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩, শনাক্ত রোগী ১১৭। কিন্তু মিজ ফ্লোরার দেয়া হিসেব অনুযায়ী মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১২৩ জন। তাঁর হিসেবে, নতুন যারা শনাক্ত হয়েছেন তার মধ্যে পুরুষ ৩০ জন, পাঁচজন মহিলা এখন পর্যন্ত যারা শনাক্ত হয়েছেন তার মধ্যে ঢাকায় ৬৪ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন। দুরকম তথ্যের ব্যাখ্যা মন্ত্রী ও পরিচালকের দেয়া তথ্যের মধ্যে যে অসামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, "মন্ত্রী ব্রিফিং করেননি। তার বক্তৃতার অংশ হিসেবে তিনি সেটা বলেছেন।" আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হচ্ছে ১৩ একটি নাম ভুল করার কারণে এই ভুলটি হয়েছে, বলেন তিনি। যদিও আইইডিআরের ওয়েবসাইটে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ বলে উল্লেখ রয়েছে, যা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া তথ্যের সাথে মেলে, আইইডিসিআর পরিচালকের দেয়া তথ্যের সাথে নয়। সর্বশেষ তথ্য: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৪০১১ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। আর গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৪৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ৭৩৯ জনকে কোয়ারিন্টনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে আছেন ১০৭ জন। হটলাইনে টেলিফোন এসেছে ৬৭২১০। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? | বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা যেদিন রেকর্ড ছাড়ালো, সেদিনই সরকারের দায়িত্বশীল দুই কর্মকর্তা দিলেন সংখ্যা নিয়ে দুরকমের তথ্য। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মিস ওমর বলছেন যে পোস্টারের কথা তিনি বলছেন সেটা দেখলেই বোঝা যাবে কেন এর জন্য তার জীবন সংশয় হতে পারে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে রিপাব্লিকান পার্টির একটি স্টলে ওই পোস্টার রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন মুসলিম বিরোধী এই পোস্টারে সন্ত্রাসের সঙ্গে তাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলছেন এই পোস্টার তার জীবনের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার রিপাব্লিকানরা বলছেন তারা ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কাজ সমর্থন করেন না এবং তারা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের পোস্টারটি সরিয়ে নিতে বলেছেন। গত নভেম্বর মাসে মিস ওমর নির্বাচনে জেতেন। আমেরিকান কংগ্রেসে প্রথমবার যে দুজন মুসলিম নারী নির্বাচনে জিতেছেন মিস ওমর তাদের একজন। ওয়েন্ট ভার্জিনিয়ার চালর্সটনে ওই অনুষ্ঠানে শুক্রবার যে পোস্টার লাগানো হয়েছে তাতে মিস ওমরকে দেখা যাচ্ছে এবং তার ছবির পাশে নিউ ইয়র্কে টু্ইন টাওয়ারে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। পাশে লেখা আছে: "আপনি বলেছিলেন - কখনও ভুলো না। কিন্তু আপনি যে ভুলে গেছেন- আমিই তার প্রমাণ।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: হিজাব পরা যে মেয়ের ছবি নিয়ে তোলপাড় হিজাব খোলার দায়ে ৬০,০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ মিস ওমর বলেছেন এই পোস্টারের জন্যই তার জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। "দেশের ভেতর আমাকে যে এ কারণেই সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমার পাড়ার পেট্রল স্টেশনে এজন্যই কারা লিখে রেখেছে 'ইলহান ওমরকে হত্যা করো'," তিনি বলেছেন। "রিপাবলিকানরা তাদের মুসলমান বিরোধী প্রচারণার সঙ্গে আমার নাম এভাবে জড়িয়েছে, অথচ আশ্চর্য কেউ তাদের নিন্দা করছে না।"। মিস ওমর খুনের তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্ত করার যে কথা বলেছেন তা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সন্দেহভাজন একটা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। মিস ওমর এবং প্রথম সারির কিছু ডেমোক্রাট রাজনীতিককে হত্যা করার জন্য ওই শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠির কাছে অস্ত্র এবং কাদের তারা মারতে চায় তার একটা তালিকা আছে বলে অভিযোগ। ওই অনুষ্ঠানে এসিটি ফর আমেরিকা নামে 'মুসলিম বিদ্বেষী' একটি গোষ্ঠির বিভিন্ন পোস্টারের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে মিস ওমরকে নিয়ে তৈরি এই পোস্টার। তবে এসিটি ফর আমেরিকা বলেছে মিস ওমরের ওই পোস্টারের ব্যাপারে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই এবং "বৈষম্যের ব্যাপারে গোষ্ঠিটি জিরো-টলারেন্স" নীতিতে বিশ্বাসী। | আমেরিকান কংগ্রেসের সদস ইলহান ওমর ১১ই সেপ্টেম্বরের জঙ্গী হামলার সঙ্গে তাকে জড়িয়ে একটি পোস্টার প্রদর্শনের নিন্দা করেছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | গুম সাংবাদিক জামাল খাসোগি তার সঙ্গী আশঙ্কা করছেন তাকে অপহরণ করা হয়েছে অথবা হত্যা করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলের কর্তৃপক্ষ মনে করছে সৌদি এজেন্টরা তাকে খুন করেছে। সৌদি আরব অবশ্য জোর দিয়ে দাবি করছে যে মিস্টার খাসোগি আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই দূতাবাস ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এই নিখোঁজ সম্পর্কে আমরা এখনো পর্যন্ত কতটুকু জানি? আর কী জানি না? কে এই সাংবাদিক? মিস্টার খাসোগি একজন নামকরা সাংবাদিক যিনি অনেক বড় বড় সংবাদ কভার করেছেন। এর মধ্যে আফগানিস্তানে সোভিয়েত অভিযান, ওসামা বিন লাদেনের উত্থান ইত্যাদি। অনেক বড় বড় সংবাদ প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি এসব খবর লেখেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর গ্রেনেড হামলার রায়: কোন দিকে যাবে রাজনীতি? চীনের মুসলিম বন্দী শিবিরগুলো এখন 'বৈধ' 'হিন্দুদের বন্ধু', তবু লিঞ্চিস্তানে আক্রান্ত মিও মুসলিমরা হ্যারডসে কোটি ডলার খরচ করা এই নারী কে? গতবছর আমেরিকায় যান স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে এবং ওয়াশিংটন পোস্টে প্রতিমাসে কলাম লিখতেন যেখানে তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পর্কে সমালোচনামূলক লেখা লিখেছেন। নিজের প্রথম কলামেই তিনি লেখেন যে, যুবরাজ সালমান বাদশাহ সালমানের স্থলাভিষিক্ত হলে মিস্টার খাসোগি ভিন্নমত পোষণের কারণে গ্রেপ্তার হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। গুম হওয়ার মাত্র তিনদিন আগে বিবিসি নিউজ আওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, " যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা শুধু বিদ্রোহী তা নয়, তাদের স্বাধীন মন রয়েছে। " ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে তিনি প্রথম প্রবেশ করেন ২৮শে সেপ্টেম্বর। সেসময় তার প্রাক্তন স্ত্রীর সাথে তার ডিভোর্স সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে এসেছিলেন তিনি। মিস্টার খাসোগি এরপর ২রা অক্টোবর দুপুরের দিকে আবার আসেন দূতাবাসে। স্থানীয় সময় দেড়টার দিকে তার অ্যাপয়নমেন্ট ছিল। আরো পড়ুন খাসোগির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক জামাল খাসোগি: কে এই সৌদি সাংবাদিক প্রথমবার তার সাথে খুব আন্তরিকতার সাথে ব্যবহার করা হয় বলে ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছিলেন তিনি। কোন সমস্যা হবেনা বললেও তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন। এতকিছুর পরও তিনি তার তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে নিজের দুটো মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে হাতিস যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। মিস্টার খাসোগির অপেক্ষার দূতাবাসের বাইরে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে থাকেন হাতিস চেঙ্গিস। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি। মিস্টার খাসোগির অপেক্ষার দূতাবাসের বাইরে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে থাকেন হাতিস চেঙ্গিস। বুধবার সকালে তিনি সেখান থেকে ফিরে যান। তুরস্ক কী বলছে? তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, দূতাবাসের আঙ্গিনার বাইরে সৌদি এজেন্টদের একটি দলের হাতে মিস্টার খাসোগি খুন হয়েছেন। এর পরপরই তার মরদেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এই বক্তব্যের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে নাম প্রকাশ না করে একজন কর্মকর্তা জানান, একটি কমপ্লেক্স অপারেশন আছে এবং সেখানে মিস্টার খাসোগিকে হত্যা করা হয় পৌঁছানোর দুই ঘণ্টার মধ্যেই। সরকার-সমর্থক তুর্কী সংবাদপত্র সাবাহ বলছে, তারা সন্দেহভাজন ১৫ জন সৌদি এজেন্ট শনাক্ত করেছেন যারা গুমের ঘটনার দিন ইস্তানবুলে ঢুকেছিল এবং পরে বেরিয়ে গেছে। বিবিসি জানতে পেরেছে এই দলের একজন সদস্য মাহের মুটরেব সৌদি গোয়েন্দা-বাহিনীর কর্নেল হিসেব কাজ করতেন এবং লন্ডনের এম্বেসিতে কর্মরত ছিলেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে একটি প্রাইভেট বিমানে করে এই এজেন্টদের নয়জন ওইদিনই এসে পৌঁছোয় বলে খবরে বলা হয়। বাকি সদস্যরা দিনের অন্য সময় একে একে এসে পৌছায় দ্বিতীয় আরেকটি বিমানে করে । এরপর তারা দূতাবাস ভবনের কাছাকাছি দুটি হোটেলে অবস্থান নেয়। তুরস্কের টেলিভিশনের প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সৌদি আরবের লোকজন এয়ারপোর্টে প্রবেশের পর গিয়ে হোটেলে উঠছে। মিস্টার খাসোগির ভিজিটের এক ঘণ্টা আগে কিছু যানবাহন দূতাবাসে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর আগন্তুকরা প্রাইভেট বিমানে করে দেশ ছেড়ে যায় এবং সেগুলো রিয়াদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় কায়রো ও দুবাই হয়ে, তদন্তকারীরা এমনটাই বলছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়, মিস্টার খাসোগির পৌঁছানোর আগে মার্কিন সামরিক গোয়েন্দারা সৌদি কর্মকর্তাদের কথোপকথন রেকর্ড করেতে জানতে পারেন তারা একটি ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করছিল। সৌদি আরব কী বলছে? যুবরাজ মোহাম্মদ গত সপ্তাহে ব্লুমবার্গ নিউজকে বলেছেন, "আসলে কী ঘটেছে সেটা জানতে তার সরকার খুবই উদগ্রীব" এবং মিস্টার খাসোগি কিছু সময় কিংবা ঘণ্টা খানেক পরই দূতাবাস এলাকা ছেড়ে যান। "আমাদের গোপন করার কিছুই নেই"- তিনি উল্লেখ করেন। প্রিন্স মোহাম্মদ এর ভাই এবং আমেরিকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান "মিস্টার খাসোগি গুম বা হত্যার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যেসময় মিস্টার খাসোগি গুম হন সেসময় এয়ারপোর্টে সৌদি উড়োজাহাজ দেখা যায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা তারা সব ধরনের সহায়তার জন্য উন্মুক্ত এবং ভবনটির ভেতরে একটি তল্লাশি অভিযান চালানো যেতে পারে। তুরস্ক বলছে তারা তল্লাশি চালাবে কিন্তু তার আগে প্রমাণ দিতে হবে যে মিস্টার খাসোগি যে ভবনটি ছেড়ে গেছেন প্রমাণ দিতে হবে। মিস্টার খাসোগির ছেলে সৌদি মালিকানাধীন আল অ্যারাবিয়া নিউজ আউটলেটকে বলেছেন তার বাবার নিখোঁজের ঘটনা বিদেশী মহলের কারণে "রাজতৈনিক" হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, "মূল ঘটনা হচ্ছে তিনি একজন সৌদি নাগরিক এবং নিখোঁজ রয়েছেন"। 'কারো ক্ষেত্রেই আমরা এমনটা ঘটতে দিতে পারি না: ডোনাল্ড ট্রাম্প' এদিকে সৌদি আরবের নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাসোগি সম্পর্কে জানতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বলছে, মিস্টার খাসোগি নিহত হয়েছেন। তবে সৌদি আরব তা অস্বীকার করেছে। মিস্টার ট্রাম্প বুধবার বলেন, "কোন সাংবাদিকের ক্ষেত্রে, কারো ক্ষেত্রে আমরা এমনটা ঘটতে দিতে পার না।" হোয়াইট হাউজ বলছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে কথা বলেছেন এবং মিস্টার খাসোগি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নিয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন যারা মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি মামলার মোড় ঘুরিয়েছিল গ্রেনেড হামলা মামলার রায়: দণ্ডপ্রাপ্তরা কে কোথায়? বাচ্চাকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে চান? জানুন কীভাবে | মার্কিন প্রবাসী এবং সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগি গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন কিছু তথ্যের জন্য। তারপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | শুকনো জায়গার খোঁজে। যে প্রধান সড়কে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন সেই রাস্তার প্রায় দেড়শ ফুট ভেঙে কসিরনের বাড়িঘর বসতভিটা সব তছনছ হয়ে গেছে। কসিরন বেগমের বাড়ি যেখানে ছিল সেখানে এখনো অথৈ পানি। তিনি বলছিলেন, "আমার সব শেষ হয়ে গেছে। চারটা ঘর গেল। এক কাপড়ে ঘর থেকে বার হইছি। কিচ্ছু আনার পারি নাই।" এক রাস্তা ভেঙে কসিরন বেগমের মতো ঘরবাড়ি বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ১৮টি পরিবার। গাইবান্ধায় এবার বন্যায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ঘরবাড়ি। . সরকারি হিসেবেই সারাদেশে অন্তত ২৮টি জেলা প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক মানুষের মৃত্যু ছাড়াও ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ফসলি জমি, মাছের খামার ভেসে গেছে বন্যায়। হাঁস-মুরগি আর গবাদি পশুর খামারিরাও হয়েছেন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। গাইবান্ধার এক পশুর হাটে কোরবানির গরু নিয়ে আসা শাজাহান বলছিলেন বন্যায় গোখাদ্যের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। ১০-১২দিন টানা রাস্তায় থাকার পর বাধ্য হয়ে গরু হাটে এনেছেন তিনি। বলছিলেন, ঈদের দু'তিনদিন আগে তার পালের গরুটি বেচার ইচ্ছা ছিল। বন্যার কারণে আগেই বেচতে বাধ্য হচ্ছেন, কিন্তু বিক্রি হবে কিনা নিশ্চিত নয়। "এখনো রাস্তায় আছি। বাড়ির মধ্যে পানি শুকায়নি। গরুকে তো খানাদানা দিতে পারি না। এজন্যই নিয়ে আইছি। বন্যার কারণে গরুর শরীল শুকায় গেছে। আগে ৮০-৯০ হাজার দাম উঠছে, এখন বলছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার।" এবার বন্যায় শাহজানের মতো বহু মানুষকে বাড়ির গবাদি পশু নিয়ে রাস্তাঘাট কিংবা উঁচু বাধে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ২২টি গরু ছাগল ও ভেড়ার একটি পাল নিয়ে নদীর তীরে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে জুলহক ইসলাম। বন্যায় তার একটি গরু মারা গেছে। . "এই গরু-বাছুরই আমার সম্পদ। মনে করেন চরে নিয়ে গেছি, ঘাস পাতা খাওয়াইছি। এখন তো বন্যায় চরও তলায় গেছে। এখন এই পল (খড়ের গাদা) আছে একটু করে দিই কোনোরকম জীবনটা বাঁচুক।" গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন জানায় এবারই প্রথম ত্রাণের সঙ্গে দেয়া হয়েছে গোখাদ্য। বন্যার পানি নামলেও এখনো নিজের বসতভিটায় ফিরতে পারেননি এমন বহু মানুষ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। উদাখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেয়া অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তাদের অভিযোগ একটি চাপকল ছাড়া ত্রাণ সাহায্য মেলেনি সেখানে। দুর্গত এলাকার প্রবীণ নারী পুরুষরা বলছেন, তাদের বাড়িতে এবার ১৯৮৮ সালের বন্যার চেয়েও বেশি পানি উঠেছে। ষাটোর্ধ তুলি বেগম বলেন, "পাঁচদিন বন্যার পানি খাইছি। পানি কোথায় পাব।" চার সন্তান ও স্বামীর সাথে দুই সপ্তাহ ধরে তাঁবু টানিয়ে আছেন আজেনা বেগম। তার ভাষায়, "বাথরুম তো নাই-ই। পানির কষ্ট, খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট, শোবার কষ্ট..." কসিরন বেগম। আরো পড়তে পারেন: দক্ষিণ এশিয়ার বন্যার পানিতে রাজনীতির উত্তাপ বাংলাদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১১৪ উড়িষ্যায় বজ্রপাতে মৃত্যু যেভাবে কমানো গেছে মর্জিনা বেগম নামের আরেকজন নারী বলেন, "আগে এত পানি দেখি নাই আর এত ক্ষতিও হয় নাই। মানুষির এবার মেলা জিনিস ক্ষতি হলো। ধান চাউল যা আছিলো আইনবারও পারি নাই।" বাঁধে আশ্রয় নেয়া অধিকাংশেরই অভিযোগ তারা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। তবে স্থানীয় মেম্বার একটি টিউবওয়েল বসিয়ে দিয়েছেন। ত্রাণ যে সবাইকে দেয়া যাচ্ছে না সেটি স্বীকার করেছেন উড়ীয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ হায়দার আলী। এদিন ২৫টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ ১০ কেজি করে চাল ৫০টি পরিবারের মধ্যে পাঁচ কেজি করে ভাগ করে দিচ্ছিলেন তিনি। "উপজেলা থেকে দুইবার শুকনা খাবার পাইছিলাম দুইশ দুইশ চারশো ব্যাগ। কিন্তু মানুষ প্রায় সাড়ে চার হাজার। আর ২৫টি পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে চাল পাইছি ৬ বার। ব্যাপক চাহিদা। সবারই তো ধান তলায় গেছে। কারো চাইল নাই। এখন গেরস্তরা এসেও ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে, যেহেতু তাদের ধান চাইল ডুবে গেছে, কিন্তু আমরা তো সেটার চাহিদা মেটাতে পারবার লাগছি না।" গাইবান্ধা জেলায় এবার ৩৬টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। জেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ হয়ে পড়ে পানিবন্দী। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬৩ হাজার ঘরবাড়ি। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল। শুধু গাইবান্ধাই নয় এবার সারাদেশের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২৮টি জেলা। প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১১৯ জনের। গরুকে খাওয়ানোর ঘাসও নেই কোথাও। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে প্রায় ৬১ লাখ মানুষ এবার পানিবন্দী হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি আর ১ লক্ষ ৫৪ হাজার একর ফসলি জমি। বন্যায় ক্ষতির তালিকায় ৪ হাজার ৯শ ৩৯টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৭ হাজার ২৭ কিলোমিটার সড়ক, ২৯৭টি ব্রিজ-কালভার্ট ও ৪৯৫ কিলোমিটার বাঁধ। এবছর বন্যায় দেশব্যাপী ১ লক্ষ ৫৪ হাজার একর ফসলী জমি তলিয়েছে। আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু কৃষক যাদের একজন গাইবান্ধার মোফাজ্জল হোসেন। মাঠের পানি নেমে যাওয়ায় নতুন করে এবার রোপা আমনের বীজ ফেলছিলেন তিনি। ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করেন মি. হোসেন। "সরকারি লোকে তো বলতেছে আমরা বীজ দেব, বিনামূল্যে সার দেব। কই আমরা তো পাই না!" গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন দাবি করেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কোনো সমস্যা নেই। পুনর্বাসন প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, এবার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এটা কিন্তু আগে ছিল না। "শিশু খাদ্যও সরকার দিয়েছে। যাদের ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করে দেয়া হবে। যাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করা হবে। যাদের মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহায়তা দেয়া হবে।" দুর্গত মানুষের জন্য সরকারি নানারকম বরাদ্দ থাকলেও প্রশ্ন রয়েছে তার সবটা সময়মতো দুর্গতদের কাছে পৌঁছায় কিনা। বন্যার সময় সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু পানি কমার পরে যে সংকট শুরু হয় সেটি থেকে যায় অনেকটা আড়ালে। যে কারণে ঘরবাড়ি আর ফসল হারানো অসহায় মানুষের জন্য বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনটাই বেশি জরুরি। বন্যা থেকে বাঁচতে ভাসমান শস্য চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে আরো পড়তে পারেন: আইএস জিহাদির শিশু নিয়ে এক নারীর টানাপোড়েন শিশুকন্যা চুরি করে গণধর্ষণের পর মাথা কেটে হত্যা ডেঙ্গুর আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সরা | গাইবান্ধার ভরতখালী ইউনিয়নের কসিরন বেগম বন্যায় একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পাসপোর্ট বিবিসি রিয়েলিটি চেক অর্থাৎ যার মাধ্যমে বিবিসি যেকোনো গল্পের পেছনের সঠিক ঘটনা এবং পরিসংখ্যান যাচাই করে, সেই টিম অনুসন্ধান করেছে - কেন অসংখ্য মানুষ মল্টার পাসপোর্ট কিনতে এতটা আগ্রহী। একজন সাংবাদিককে হত্যার ঘটনার পর তদন্তের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল মল্টায় সফর করছে, দেশটিতে "আইনের শাসন অনুসন্ধান" করতে। ২০১৭ সালে ড্যাফনে কারুয়ানা গালিৎজিয়া হত্যার ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ভীত কাঁপিয়ে দেয় এবং এই ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ দেশটির কথিত দুর্নীতি এবং দুর্বল বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দেয়। স্বল্প কর, অভিজাত শিক্ষা এবং রাজনৈতিক কারণে নতুন দেশে বসবাসের জন্য ধনী ব্যক্তিদের কাছে "গোল্ডেন পাসপোর্ট" বিক্রি একটি বড় বৈশ্বিক বাজারে পরিণত হয়েছে। তবে মল্টায় নাগরিকত্বের দাম কত হবে এবং যারা এসব পাসপোর্ট কেনেন তাদের সম্পর্কে কী জানার আছে? মাল্টার নাগরিকত্ব কেনা যাবে মোট সাড়ে ১১ লাখ ইউরো খরচ করে। আপনি কীভাবে মাল্টিজ নাগরিকত্ব কিনবেন? ধনী ব্যক্তি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মল্টার সরকার ২০১৪ সালে এই প্রকল্পটি চালু করেছিল। পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের অবশ্যই নিম্ন লিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে: আবেদনকারীদের অবশ্যই ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে আবাসিক স্ট্যাটাস থাকতে হবে, যদিও তাদের সেখানে শারীরিকভাবে বসবাস করতে হবে না। প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে এখান পর্যন্ত ৮৩৩ জন বিনিয়োগকারী এবং ২,১০৯ পরিবারের সদস্য মল্টিজ নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। একটি মাল্টিজ পাসপোর্ট ধারনকারী ব্যক্তি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমোদন পায়, কারণ মাল্টা শেংজেন চুক্তির অংশ। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এবং ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়কালের মধ্যে এই স্কিম থেকে আয় ১৬ কোটি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ইউরোতে উন্নীত হয়, যেটা সেই সময়ে মল্টার জিডিপির ১ দশমিক ৩৮ শতাংশের সমান, যদিও ২০১৮ সালে পাসপোর্ট কেনার হার পড়ে যায়। মল্টার মত ছোট দেশগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এই ধরনের স্কিম নেয়ার পরিষ্কার প্রণোদনা রয়েছে। ফ্লোরেন্সের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট এর অভিবাসন বিষয়ক গবেষক লুক ভন ডের ব্যারেন বলছেন, "অনেক ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে আয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে,"। মল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকট তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কারা কিনছে মল্টার পাসপোর্ট? যেসব দেশের নাগরিকেরা এই "সোনালী পাসপোর্ট" এর জন্য আবেদন করেছেন তাদের সম্পর্কে পৃথক দেশ হিসেবে কোনও তথ্য মল্টার সরকার প্রকাশ করে না, কিন্তু তারা অঞ্চল হিসেবে তথ্য দিয়ে থাকে। আবেদনকারী নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ইউরোপের নাগরিকেরা, এরপরে মধ্যপ্রাচ্য এবং উপসাগরীয় এলাকা এবং তারপরে এশিয়া অঞ্চল। যাইহোক, ইউরোপীয় সদস্যভুক্ত দেশগুলোর বার্ষিক নাগরিকত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে-ওই বছর কারা কারা নাগরিক হয়েছেন। ২০১৪ সালে মল্টাতে এই নীতি চালুর পর, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং চীন থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৫ সালের আগে সৌদি আরব থেকে ন্যাচারালাইজড কোনও নাগরিক ছিল না, কিন্তু ওই সময় থেকে তা ৪শ ছাড়িয়ে যায়। আরেকটি পাসপোর্ট চাওয়ার বৈধ কারণ রয়েছে, কিন্তু মল্টিজ এই ব্যবস্থাটির অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ইউরোপীয় কমিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হচ্ছে, মল্টার এই স্কিমের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের চেয়ে "কম কঠোর" । এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের বাসস্থান থাকার বাধ্য-বাধকতা নেই, এবং আগে থেকে দেশে দেশটির সাথে কোনও যোগাযোগ থাকাও প্রয়োজনীয় নয়। খুন হওয়া রিপোর্টার ড্যাফনি কারুয়ানা গালিৎজিয়ার ছবি হাতে বিক্ষোভকারীরা আরও পড়তে পারেন: সাংবাদিক মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে ছেলের লড়াই তিন কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব কি কেনা যায়? দি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) গতবছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যেখানে মল্টাকে কর ফাঁকির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, আর এর কারণ দেশটির 'গোল্ডেন পাসপোর্ট" স্কিম। মল্টার সরকারের বক্তব্য, তারা সমস্ত আবেদনকারী এবং রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিষয়ে যাচাই করে থাকে। গবেষক মিস্টার ভন ডের ব্যারেন বলছেন, অনেক পরিবার এটাকে ব্যবহার করছে তাদের সন্তানদের বিদেশে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে অথবা কেউ সুযোগ নিচ্ছে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আরও যে বিষয়টি যোগ করেন: "এই কর্মসূচি নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, কেননা কেবলমাত্র অল্প কিছুসংখ্যক বিত্তশালী অভিজাত-ই এই দ্বিতীয় নাগরিকত্ব কিনতে পারে।" ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সাইপ্রাস এবং বুলগেরিয়াতে একই রকম স্কিম রয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সাইপ্রাস ১৬৮৫ বিনিয়োগকারী এবং তাদের পরিবারের ১৬৫১ সদস্যের নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করেছে। যদিও চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশটি ২৬ জন বিনিয়োগকারীর গোল্ডেন পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত "ভুল" এর অভিযোগ দেখিয়ে। | মল্টার "গোল্ডেন পাসপোর্ট" স্কিমের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের ধনীরা দেশটির নাগরিকত্ব কিনতে পারছে। আর এই ব্যবস্থাটির কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, সবসময় স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাঘাইছড়ি সাজেক থানার ওসি নুরুল আনোয়ার বলছিলেন আজ সোমবার ভোর রাত ৪টা থেকে ৫টা মধ্যে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এটি দুর্গম একটা এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের আসতেও সেখানে সময় লেগেছে। তবে এই নিহত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া আর কোন বিস্তারিত পরিচয় জানা যায় নি। এদিকে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যারা মারা গেছে তারা ইউপিডিএফ এর মূল দলের কর্মী। আরো পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম: আঞ্চলিক রাজনীতির জটিল সমীকরণ পাহাড়ি নেতার শেষকৃত্যে আসার সময় গুলি, নিহত ৫ পাহাড়ে সংঘাত নিরসনে কি করছে প্রশাসন? প্রতিশোধ? চলতি মে মাসের শুরুর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার নিহত হওয়ার পর তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিতে গেলে ইউপিডিএফের আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতা তরুন জ্যোতি চাকমা নিহত হন। মি. আলমগীর বলছিলেন আজকের এ ঘটনা সেটার একটা প্রতিশোধ হিসেবে হতে পারে। পার্বত্য এলাকার পাহাড়িদের প্রধান দুটি সংগঠন জনসংহতি সমিতি এবং ইউপিডিএফের মধ্যে অন্তর্কলহ কথা অনেক দিন ধরে খবর হয়েছে। তবে এই দুটি গ্রুপ ভেঙ্গে আরো দুটি গ্রুপ অর্থাৎ অন্তত চারটি গ্রুপ সক্রিয় থাকাই সেই দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন আজ পর্যন্ত গত ৫ মাসে তিন জেলায় ২১ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৭ সালে ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি হয়। এই চুক্তির পর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে এমনটা অনেকের ধারণা ছিল। কিন্তু ওই চুক্তির পর ইউপিডিএফ চুক্তির বিপরীতে অবস্থান নেই। আবার দলটি ভেঙ্গে ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক নামে আরেকটি গ্রুপ তৈরি হলে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্নে র্যাব কী বলছে ভারতের কংগ্রেস পার্টি অর্থসংকটে পড়েছে? বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কী বললেন সালাহ? | বাংলাদেশের রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় থানার পুলিশ নিহতদের ইউপিডিএফের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সকাল ও বিকেলের নাস্তার এসব পণ্যের জনপ্রিয়তা বেড়েছে কিন্তু আবার অন্যদিকে, এ সময়ে বাজারে নতুন তৈরি হওয়া চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু ক্ষুদ্র উদ্যোগ ভালো ব্যবসা করেছে। সবজি ও ফল, নাস্তা, সুরক্ষা সামগ্রী, পোশাক---কী নেই সেই তালিকায়! এসব উদ্যোগের প্রায় শতভাগই অনলাইন ভিত্তিক, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন। প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এই মূহুর্তে প্রায় দুই হাজারের মত নতুন প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের ২০০'র বেশি কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যস্ততাও এ সময়ে বহুগুণ বেড়েছে। গড়ে উঠছে নতুন নতুন উদ্যোগ লকডাউনের সময় যখন রেস্তোরাঁসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে যখন লোকের বাড়িতে সাহায্যকারীও আসছে না, সেসময় সকালের নাস্তার রুটি, বিকেলের নাস্তার নানা আইটেমের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। নানান আকারে কাপড়ের মাস্ক বানান তাসলিমা মিজি সুপার শপ আর পাড়ার দোকানে তখন এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে মানুষ তখন দোকানে যেতেও চাইছিলেন না। দেখা গেল ফেসবুকের পাতায় তখন কেউ কেউ বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন---বাড়িতে বানানো আটার রুটি, চালের আটার রুটি, কিংবা বিকেলের নাস্তার নানা আইটেম সরবারহ করা হচ্ছে। এমন একজন উদ্যোক্তা রোহানা আক্তার রত্ন। ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়াশোনা করছেন। লকডাউনের সময় গ্রাফিক ডিজাইনার স্বামী এবং বাবার রোজগার যখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, সেসময় কিছু একটা করার তাড়না বোধ করেন রত্ন। মে মাসের শেষের দিকে এসে ফেসবুকে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের একটি পেজে যুক্ত হয়ে দেখলেন খাবারদাবার, বিশেষ করে নাস্তার আইটেমের খুব চাহিদা। মাকে জিজ্ঞেস করলেন, রুটি-পরোটা বানাতে পারবেন কিনা। মা রাজি হয়ে গেলে নারী উদ্যোক্তাদের ওই পেজে ছোট্ট একটি পোস্ট দেন “ঘরে বানানো রুটি, পরোটা, এবং বিকেলের নাস্তার অর্ডার নেয়া হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মাকে স্বাবলম্বী করতে চাই।” রত্ন আর তার মা খাদিজা বেগম জুন মাসের এক তারিখে প্রথম অর্ডার পেয়েছিলেন ২০টা আটার রুটি এবং ২০ টা চালের আটার রুটি। এরপর আর বসে থাকতে পারেননি। “শুরুতে কেবল মা আর আমিই বানাতাম। কাস্টমারকে ফ্রেশ দিতে হলে যেদিন ডেলিভারি ডেট, তার আগের দিন জিনিসটা বানিয়ে ফ্রিজ করতে হয়, সেজন্য আমাদের ওপর খুব চাপ পড়ত। কিন্তু গত দেড় মাসে যেভাবে প্রতিদিনই অর্ডার বেড়েছে, তাতে এখন পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সাহায্য লাগে।” রত্ন বলছিলেন, ফেসবুকে নিজেদের এই উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘মায়ের হেঁশেল’। সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে যে পণ্যটির চাহিদা সবচেয়ে বেড়েছে তা হচ্ছে সুরক্ষা সামগ্রী। আরো পড়তে পারেন: চাকরির বাজারে তরুণদের নতুন যেসব দক্ষতা কাজে লাগতে পারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাহায্য করতে স্কটল্যান্ডের ব্যবসায়ীর উদ্যোগ কোভিড-১৯ মহামারির পর মেয়েদের কি আগের চেয়ে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে? এখন মাস্ক, গ্লাভস আর স্যানিটাইজারের মত পণ্য অনেকের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে অন্য পেশায় ছিলেন এমন অনেকেই এখন বিভিন্ন ধরণের মাস্ক বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করছেন। কয়েক বছর ধরে চামড়ার ব্যাগ বানান এবং রপ্তানি করেন তাসলিমা মিজি। কিন্তু লকডাউনের সময় আটকে যায় তার কারখানার উৎপাদন। কিছুদিন ভাবনাচিন্তা আর গবেষণার পর তিনি কাপড়ের মাস্ক বানানো শুরু করেন। “একদিকে আমার কারখানায় কর্মীরা বসেই ছিল, কাজ ছিল না, আবার বাজারে চাহিদা আছে এমন কিছু নিয়েও কাজ করতে চাইছিলাম। তখন আমি কাপড়ের মাস্ক বানানো শুরু করি।” “আর নন-ওভেন ম্যাটেরিয়ালের মাস্ক পরিবেশ বান্ধব নয়, বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্যও ঠিক উপযোগী না। সে কারণে কাপড়ের মাস্ক বেছে নিলাম আমি।” বানানো শুরুর পর থেকে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন তিনি। এরফলে তার চামড়াজাত পণ্যের উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কর্মীদের বসে থাকতে হয়নি, তাদের রোজগারের ব্যবস্থা হয়েছে। করোনাভাইরাস: ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাতটি পরামর্শ তাসলিমা মিজি এখন শুধু নিজেই মাস্ক বানাচ্ছেন না, সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন, যারা কাপড়ের মাস্ক বানাচ্ছে এবং অনলাইনে বিক্রি করছে। কুরিয়ার সার্ভিসের তুমুল ব্যস্ততা এই সময়ে অনলাইনে ব্যবসা যত বাড়ছে, ক্রেতার হাতে সেই পণ্য পৌছাতে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা বেড়ে গেছে বহুগুণ। কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুরুতে অনলাইন থেকে কেনা পণ্যের সরবারহ ঢাকা এবং বিভাগীয় শহরগুলোতেই প্রধানত করতে হত। কিন্তু এখন প্রায় সমস্ত জেলা শহরে অনলাইনে কেনা পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ফলে প্রায় সবগুলো কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেলা শহরগুলোতে কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ তানভীর আহমেদ বিবিসিকে বলেছেন, “মানুষ যেটা শপিং মলে কিনতে যেত, এমন সব কিছুই এখন অনলাইনে অর্ডার করছে। গত তিন মাসে আমাদের অর্ডারের হার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বলবো না, কিন্তু বহুগুণ বেড়েছে। আর সেটা শহর এলাকা ছাড়িয়ে প্রায় প্রতিটি জেলা শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।” সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ বেড়েছে বহুগুন মূলত মোবাইলসহ নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক পণ্য, ওষুধ, আমসহ বিভিন্ন ফল, নারী ও শিশুদের পোশাক, সৌখিন নানা সামগ্রীর অর্ডার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তবে অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার মধ্যে মি. আহমেদ বলেছেন, তারা যেসব পণ্য অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি করেন, তার মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ ফেরত আসে। “দেখা গেল অনলাইনে দেখা পণ্যের সাথে বাস্তবে হাতে পাওয়া পণ্যের কিছুটা অমিল পাওয়া গেল, সেক্ষেত্রে পণ্য পেয়ে ক্রেতারা চেক করে আবার সাথে সাথে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। অনলাইনের অর্ডার ডেলিভারির এক চতুর্থাংশ ফেরত পাই আমরা।” নতুন সম্ভাবনা? রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তাদের সমিতি বেসিসের নেতা লুনা সামসুদ্দোহা মনে করেন, মহামারির সময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য টিকে থাকাটা যখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন প্রযুক্তিকে নির্ভর করে গড়ে ওঠা ব্যবসা খাত নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। “এর ফলে যে কেবল যিনি পণ্য বানাচ্ছেন বা আমদানি করে আনছেন, তিনিই লাভবান হচ্ছেন এমন নয়। এর সঙ্গে ওই পণ্যটি ক্রেতার হাত পর্যন্ত পৌছাতে কয়েকটি ধাপে নতুন কর্মী তৈরি হচ্ছে। যে ডেলিভারি দেয়, যে পরিবহন সেটা নিয়ে যায়---এসব জায়গায়ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।” তবে, তিনি মনে করেন এক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন এসব উদ্যোগগুলোকে নিষ্ঠার সঙ্গে পণ্যের মান এবং যথাসময়ে অর্ডার ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া এসব ছোট উদ্যোক্তারা সফল হলে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ যখন নেন, তখন তাদের পুঁজির সংকট বড় হয়ে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যেন তাদের প্রয়োজন মত সহায়তা দেয়, সে ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান লুনা সামসুদ্দোহা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর দেশের অর্থনীতিতে এক ধরণের ধস নেমেছে, ছোটবড় সব ধরণের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের দাবির কথা জানায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার খবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ছাপানো হয়েছে মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও। ইংরেজি কিংবা স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত এসব সংবাদ মাধ্যমে অবশ্য একই ধরণের গুরুত্ব পায়নি এই সংবাদটি। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এটিকে গুরুত্বের সাথে প্রথম পাতাতেই প্রকাশ করলেও অনেক পত্রিকাই এটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। আরো পড়তে পারেন: 'সুখে খুব বেশিদিন থাকবে না' রোহিঙ্গারা মুক্ত ধর্ম চর্চার অধিকার চায় শয়তানের পূজারীরা পরমাণু অস্ত্রের নীতি কেন বদলাতে চায় ভারত? মিয়ানমারের কয়েকটি সংবাদপত্রে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক সংবাদটি কিভাবে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে তা দেখার চেষ্টা করেছে বিবিসি বাংলা। দ্য ইরাবতী দ্য ইরাবতী পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনটিই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে। সংবাদটির শিরোনাম করা হয়েছে, "নো রোহিঙ্গা রিটার্ন টু মিয়ানমার অন ঢাকা'স অফিসিয়াল রিপ্যাট্রিয়েশন ডেট" বা ঢাকার নির্ধারিত প্রত্যাবাসনের দিনে মিয়ানমারে আসেনি কোন রোহিঙ্গা। দ্য ইরাবতী পত্রিকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবর। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধায়ন করতে রাখাইনের সিত্তে-তে রয়েছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক ইউনিয়ন মিনিস্টার ইউ উইন মিয়াত আয়ি। তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার এখনো কোন খবর পাইনি আমরা। তবে বিষয়টি দেখছি।" অনলাইন পাতার কিছুটা নিচের দিকে আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে রোহিঙ্গা বিষয়ে। যেখানে মিয়ানমার সফররত চীনের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নেপিদোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বেইজিং। দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার মিয়ানমারের দৈনিক এই পত্রিকার ২৩শে অগাস্টের প্রিন্ট সংস্করণের প্রথম পাতায় কোথাও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবরটি ছাপানো হয়নি। বরং রোহিঙ্গা সম্পর্কিত খবর স্থান পেয়েছে পত্রিকাটির তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পাতায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর। তৃতীয় পাতায়, নেপিদো থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ছাপানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, গত ১৯শে অগাস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব প্রস্তুতি নেয়ার খবরের পর রোহিঙ্গাদের গ্রহণের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মিয়ানমারও। তবে ২২শে অগাস্ট রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের খবরও ছাপা হয়েছে আলাদা করে। প্রথম পাতায় স্থান না পেলেও চতুর্থ পাতায় প্রত্যাবাসনের খবর ছেপেছে পত্রিকাটি। প্রত্যাবাসনের দিন অর্থাৎ ২২শে অগাস্ট ঘোষণা থাকলেও কোন রোহিঙ্গা আসেনি বলে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যার শিরোনাম করা হয়েছে, 'মিয়ানমার রেডি ফর রিপ্যাট্রিয়েশন, বাট নো রিটার্নিজ ইয়েট' অর্থাৎ মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তৈরি থাকলেও কোন রোহিঙ্গা এখনো আসেনি। খবরটিতে বলা হয়, মিয়ানমারের তং পিও লেতওয়ে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রস্তুত ছিলো দেশটির কর্তৃপক্ষ। যেখানে রাখাইন রাজ্যের বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহণ মন্ত্রী ইউ অং কিয়াও জান সহ আসিয়ানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বছরের ১৫ই নভেম্বরও একই ধরণের একটি প্রত্যাবাসন হওয়ার কথা ছিলো বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পত্রিকাটির ৫ম পাতায় ছাপানো হয়েছে চীনের রাষ্ট্রদূতের মিয়ানমার সফরের খবর। সেখানে বলা হয়েছে যে, সেনা প্রধান মিন অং লাইং চীনের রাষ্ট্রদূত মি. চেন হাইকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং শান্তি আলোচনায় চীনের সহযোগিতা রয়েছে। মিয়ানমার নিউজ ডট নেট মিয়ানমারের আরেকটি দৈনিক মিয়ানমার নিউজ ডট নেট তাদের অনলাইনের প্রথম পাতার প্রথম খবরটি প্রকাশ করেছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে। মিয়ানমার নিউজ ডট নেট - নামে অনলাইন পত্রিকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবর। তবে এর সংবাদের বিষয় বস্তু কিছুটা পুরনো। প্রত্যাবাসনের খবরে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে বুধবার বিক্ষোভ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই খবরে। প্রত্যাবাসনের দিনে রোহিঙ্গাদের ফেরত না যাওয়ার খবরও এসেছে এই সংবাদ মাধ্যমে। মূল শিরোনাম ছাড়াও অনলাইনে রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে ফেরত না যাওয়ার খবর এবং প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায় হওয়ার উপর জোর দিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের আহ্বানের বিষয়টি নিয়েও আরো দুটি আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। মিয়ানমার টাইমস মিয়ানমারের এই পত্রিকাটির ইংরেজির পাশাপাশি স্থানীয় ভাষায়ও প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন সংস্করণের প্রথম পাতায় বামে কোনার দিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। মিয়ানমার টাইমস এর বার্মিজ ভার্সনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে খবরকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে, স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন সংস্করণের মূল পাতায় কোথাও গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবর প্রকাশিত হয়নি। এর পরিবর্তে চীনের রাষ্ট্রদূতের মিয়ানমার সফরের খবরটি প্রথম পাতার প্রধান খবর করা হয়েছে। | পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২২শে অগাস্ট ব্যাপক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রস্তুতি থাকলেও রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের মুখে ভেস্তে গেছে দ্বিতীয় দফার এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, 'মোদীর ভারতে ইভিএমের হাতে রহস্যজনক সব ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে' । মঙ্গলবার পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা পর্যন্ত ইভিএম যন্ত্র পাহারা দেওয়ার ব্যাপারে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতেও বলেছেন রাহুল গান্ধী। ইভিএম ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস, আর এই প্রশ্নে সিপিএম বা আম আদমি পার্টির মতো বিরোধ দলগুলিও তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। ফলে বিগত প্রায় দু'দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারিফ কুড়িয়ে আসার পর ভারতে ইভিএম-কে ঘিরে সংশয় এখন তুঙ্গে। দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সবে শেষ হল, আর সেখানে বহু জায়গাতেই ইভিএম 'রহস্যজনক আচরণ' করেছে বলে দাবি করছে বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বলছেন, "কোথাও দেখা গেছে ইভিএম-বোঝাই স্কুলবাস ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত উধাও ছিল - আবার কোথাও বা ইভিএম নিয়ে ভোটকর্মীরা বাইরে হোটেলে গিয়ে মদ্যপান করছেন।" এই সব কথিত অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা। দলের সিনিয়র নেতা কমলনাথ কমিশনের সঙ্গে দেখা করে এসে জানান, "যে সব রিটার্নিং অফিসারের কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে অনিয়ম হয়েছে তাদের বরখাস্ত করার ও গণনা প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছি আমরা।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতে ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট চায় বিরোধীরা ইভিএম কীভাবে কাজ করে? সংসদ নির্বাচন: ইভিএম ব্যবহারের ঝুঁকি কোথায়? কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, 'মোদীর ভারতে ইভিএমের হাতে রহস্যজনক সব ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে'। সাবেক আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বালও ওই দলে ছিলেন, তিনি বলেন "নির্বাচন কমিশনের হাতে যে ইভিএম যন্ত্রগুলো ট্র্যাক করার কোনও ক্ষমতাই নেই তা এই সব ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে।" এদিকে শুক্রবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজস্থানে বিজেপির প্রার্থী জ্ঞানচন্দ পারখের বাড়ির ভেতরেই দেখা যাচ্ছে একটি ইভিএম যন্ত্র - যে ভিডিওটি টুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, "এ দেশে হচ্ছেটা কী?" এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সে কথা জানিয়েও সহকারী নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা এর এক বিচিত্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন! তিনি বলেছেন, ওই ইভিএম-টি না কি রিজার্ভ ছিল - মানে বুথের কোনও যন্ত্র কাজ না-করলে তবেই সেটি কাজে লাগানো হত। কিন্তু এই সব ঘটনা অবাধ নির্বাচনের পরিপন্থী, সে কথা বলছে বিরোধী দল সিপিএমও। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, "সুষ্ঠু ও বাধাহীন নির্বাচন আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু নয়, সাংবিধানিক ম্যান্ডেটও।" ফলে তিনি মনে করছেন সেই প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে কমিশনকেই তার মোকাবিলা করতে হবে। সমস্যা হল, ভারতে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের সময় ইভিএম নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠেই চলেছে। কোথাও কোথাও সেই একমাস বা দুসপ্তাহ আগে ভোট হয়ে গেছে, তারপর থেকে ইভিএমগুলো রাখা আছে স্ট্রংরুমে। স্ট্রংরুমের বাইরে কখনও ল্যাপটপ নিয়ে পাহারারত সেনা জওয়ান বা মোবাইল সংস্থার কর্মীরা ধরা পড়ছেন, আর তার পরই শোরগোল শুরু হয়ে যাচ্ছে ইভিএম যন্ত্রগুলো হ্যাক করার কোনও চেষ্টা হচ্ছে না তো? বাইরে দলীয় কর্মীরা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন - আর কোথাও কোথাও ভেতরে সিসিটিভি যে কিছুক্ষণ কাজ করেনি, তা স্বীকার করেছে কমিশনও। বিগত প্রায় দুদশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারিফ কুড়িয়ে আসার পর ভারতে ইভিএম-কে ঘিরে সংশয় এখন তুঙ্গে উঠেছে। এর পরও মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের দাবি, "কংগ্রেস নির্বাচনকে একটা তামাশায় পরিণত করতে চাইছে - কারণ নির্বাচন কমিশনের মতো একটা সাংবিধানিক সংস্থান নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কারওরই লাভ হবে না।" ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এস কৃষ্ণমূর্তি অবশ্য মোটেও এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলছেন, "নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এই জাতীয় প্রশ্ন উঠলে অবশ্যই কমিশনের উচিত স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। কারণ এই অভিযোগগুলো কোনও ব্যাখ্যাসাপেক্ষ নয় - বরং কিছু কথিত ঘটনাকে ঘিরে।" তদন্তে ত্রুটি প্রমাণিত হলে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশও দেওয়া উচিত বলে মি. কৃষ্ণমূর্তির অভিমত - কিন্তু দেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখনও সেরকম কোনও অভিপ্রায়ই দেখায়নি। আর তাতে আরও গভীর বিতর্কের ঘেরাটোপে জড়িয়ে পড়ছে ভারতের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে পরিচালিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? রাজনৈতিক দলগুলোর টাকা আসে কোথা থেকে? যে কিশোরের খেলার সাথী বাঘ প্রজাতির প্রাণী | বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনে যখন অন্তত ছ'টি সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, তখন প্রতিবেশী ভারতে কিন্তু ইভিএম নিয়ে নতুন করে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মতিঝিল ঢাকার ব্যস্ততম একটি এলাকা, যা এখন প্রায় ফাঁকা, ছবিটি ২৫শে মার্চের এর আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাচা বাজার এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনসমাগম। ভাইরাসে বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। আর গতরাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশর মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই লকডাউন বা শাটডাউন আসলে চলতে পারে কতদিন ধরে? কী হবে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে? আর এগুলো কী করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব ঠেকাতে পারবে? এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বুধবার এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, "আমরাও বুঝি যে এসব দেশ আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে যে কখন এবং কীভাবে এসব পদক্ষেপগুলো শিথিল করা যায়।" তার সোজাসাপ্টা মন্তব্য, "এই জনসংখ্যা বিষয়ক পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকার সময়টাতে দেশগুলো কী ব্যবস্থা নেয় - তার উপর এর উত্তর নির্ভর করছে।" "মানুষকে ঘরে থাকতে বলা এবং তাদের চলাচল বন্ধ করার অর্থ হচ্ছে সময় নেওয়া এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ কমানো," বলেন মি. ঘেব্রেইয়েসাস। কিন্তু তাদের (দেশগুলোর) এসব পদক্ষেপ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা কমাতে পারবে না। এই লকডাউনের সময়টাতে ভাইরাসটিকে 'অ্যাটাক (হামলা)' করার জন্য তৈরি হতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু কীভাবে এই সময়টাকে কাজে লাগাবে এসব দেশ- সেটিও একটি প্রশ্ন। আর এর জবাবও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেব্রেইয়েসাস। ঢাকার পথঘাট ফাঁকা, বাসাতেই সময় কাটাচ্ছেন অনেকে ভারতে টোটাল লকডাউনের প্রথম কয়েকটা ঘণ্টা যেমন কাটলো লকডাউন করা হল বান্দরবানের তিন উপজেলা করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কেন ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করতে চান ট্রাম্প? করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব কেন ও কীভাবে বজায় রাখবেন? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত যে ৬টি কাজ একান্ত জরুরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, লকডাউন বা শাটডাউন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ছয়টি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। এগুলো হলো: ১. যতটা সম্ভব পারা যায় স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ ও সেবা কাজে নিয়োগ করতে হবে। ২. কম্যুনিটি লেভেলে সংক্রমণ হতে পারে - এমন প্রতিটি ঘটনা খুজে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. টেস্ট করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে হবে। ৪. রোগীদের চিকিৎসা এবং তাদের আইসোলেট করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. রোগীদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ৬. ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলো পুর্নমূল্যায়ন করতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব ব্যবস্থা নেওয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির দাবি, এসব ব্যবস্থাই ভাইরাসটির সংক্রমণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায়, যাতে করে পরবর্তীতে এটি আবার না ছড়াতে পারে। এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পর স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও অসুবিধা নেই, যতক্ষণ না আবারো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু না হয়। মি. ঘেব্রেইয়েসাস বলছেন, কঠোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার চাইতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের 'খুজে বের করা, আইসোলেট করা, টেস্ট করা এবং নজরদারিতে রাখা'র বিষয়ে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারলেই সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ও কার্যকর উপায়ে ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। | করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে আজ থেকে ১০ দিনের ছুটি শুরু ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাদ্রাসাই আবাসিক। আজ সারাদিনই মাদ্রাসার প্রতিটি ফটক বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এক প্রকার অবরুদ্ধ অবস্থাতেই ছিলেন। আজও মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছে এবং মাদ্রাসার শিক্ষক আনাস মাদানীকে অবিলম্বে বহিষ্কার কার্যকর না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষার্থীরা ভেতরের মসজিদ থেকে মাইকিং করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের শান্ত রাখতে সব দাবি দাওয়া মেনে নেয়া হবে বলে শিক্ষকরা আশ্বাস দিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে হাটহাজারীর মাদ্রাসাটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গতকাল দুই পক্ষের বিক্ষুব্ধ অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন শতাধিক সদস্য। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর গত ২৪ অগাস্ট পুনরায় শুরু হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার কার্যক্রম। কিন্তু এর মধ্যে মাদ্রাসার মাদ্রাসার পরিচালক আহমদ শফী এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন বাবা আহমদ শফীর অসুস্থতার সুযোগে তার ছেলে আনাস মাদানী মাদ্রাসায় আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থীকে হয়রানি করছেন। এমন অবস্থায় তারা আনাস মাদানীকে অবিলম্বে বহিষ্কারসহ ছয় দাবিতে গতকাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন। আরও পড়তে পারেন: হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উত্তেজনা হাটহাজারী মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কওমি মাদ্রাসায় পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার এর মধ্যে আজ সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন যে, আহমদ শফী বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন যে মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেবেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের প্রত্যাহার আদেশে তিনি না বুঝে স্বাক্ষর করেছেন জানিয়ে আদেশটি বাতিল করবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন। এর পর পর তারা বেলা ১১টা নাগাদ আবার মাঠে নেমে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন। এসময় তারা মাদ্রাসার ভেতরে আহমদ শফীর কার্যালয়সহ, শিক্ষকদের থাকার জায়গায় ভাঙচুর করেছে বলেও জানান স্থানীয় সাংবাদিক আবু তালেব। মাদ্রাসার ভেতরের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিনি এসব তথ্য পাওয়ার কথা জানান। গতকাল ওই বিক্ষোভের পর মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় যে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এই কমিটি আগামী শনিবার আবার বৈঠকে বসবে বলে জানায়। এই সিদ্ধান্তের কারণে রাত ১১টার পর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হলেও আজ সারাদিন মাদ্রাসা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাদ্রাসার বাইরে কড়া অবস্থান নিয়ে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত তিন শতাধিক সদস্য। মাদ্রাসার গেইট বন্ধ থাকায় সেইসঙ্গে নির্দেশ না থাকায় তারা ফটকের বাইরেই অবস্থান নিয়েছেন। তবে ভেতরে যদি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি মাসুদ আলম। গত ২৪শে অগাস্ট কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আজ মাদ্রাসার আশপাশের দোকান-পাট কেউ খোলেনি বলে জানা গেছে। তবে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানিয়েছেন আজ সকাল থেকেই মাদ্রাসার ভেতরের পরিবেশ শান্ত এবং স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্ররা যার যার ছাত্রাবাসে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন যে, আনাস মাদানীর বহিষ্কারাদেশ যেন আজ কালকের মধ্যেই কার্যকর করা হয়। ছাত্রদের সব দাবি দাওয়া শিগগিরই মেনে হওয়া হবে এমন আশ্বাস দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানান সেখানকার শিক্ষক আশরাফ আলী নিজামপুরি। "ছাত্ররা এখন মাদ্রাসার ভেতরে যার যার রুমে অবস্থান করছে। ছাত্র শিক্ষক সবাই নিরাপদে আছেন। মাদ্রাসার সূরা কমিটি আছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা শিক্ষার্থীদের বলছি আমাদের ম্যানেজিং কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তোমাদের দাবি মেনে নেয়া হবে।" বলেন মি. নিজামপুরি। বাংলাদেশ অন্যতম প্রাচীন হাটহাজারী মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। মাদ্রাসার পরিচালক আহমদ শফীর পরেই জুনায়েদ বাবুনগরীর অবস্থান ছিল। কিন্তু কয়েকমাস আগে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে মি: বাবুনগরীকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তখন থেকে দুটি গ্রুপের এই কোন্দল ঘনীভূত হয়। | বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবারও থেকে থেকে বিক্ষোভ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ইস্তান্বুলে বিরোধী দল সিএইচপির সমর্থকদের উল্লাস। বিরোধী দল এবং মি. এরদোয়ানের দল একেপি - উভয়ই তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তান্বুলের মেয়র পদে জয় লাভ করেছেন বলে দাবি করছেন। তবে তুরস্কের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ইস্তান্বুলেও বিরোধী দল এগিয়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল একেপি'র নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয়ভাবে পৌর নির্বাচনে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। মি. এরদোয়ান এর আগে বলেছিলেন, এই নির্বাচনের ওপর তার দেশ এবং তার দলের 'টিকে থাকা' নির্ভর করছে। এই নির্বাচন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন তুরস্ক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের গণভোট হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই নির্বাচনকে। মেয়র এবং কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য তুরস্কের ৫.৭ কোটির বেশি মানুষ নিবন্ধিত ছিলো। আরো পড়তে পারেন: যে পত্রিকায় শুধু ভাল খবর ছাপা হয় যেভাবে কাজ করবে বায়ু পরিশোধনকারী সাইকেল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে আঙ্কারায় সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় মি এরদোয়ান তার ভুলত্রুটি শোধরানোর প্রতিজ্ঞা করেন। নির্বাচনের ফলাফল কী? তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থী মানসুর ইয়াভাস আঙ্কারায় পরিস্কারভাবে বিজয়ী হয়েছে। তবে ইস্তান্বুলের মেয়র নির্বাচনে সিএইচপি এবং মি. এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) উভয়ই সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছে বলে দাবি করছে। সিএইচপি প্রার্থী একরেম ইমামোগলু বলেছেন, তিনি প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। অন্যদিকে একেপি বলছে, তাদের প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। দু'জন প্রার্থীই ৪০ লাখ ভোট পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সিএইচপি দাবি করেছে, তারা তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরেও জয় লাভ করেছে। সিএইচপি নেতা কেমাল কিলিচদারোগলু বলেছেন, "মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে।" অন্যদিকে মি. এরদোয়ান আঙ্কারায় তার সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ইঙ্গিত দেন যে তারা ইস্তান্বুলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে তুরস্কের অর্থনীতি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেবেন বলে দাবি করেন তিনি। | তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানের দল স্থানীয় নির্বাচনে রাজধানী আঙ্কারার দখল হারিয়েছে। ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের মধ্যে এটিকে তার বড় বিপর্যয় মনে করা হচ্ছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মৌলভীবাজারে সেতু ভেঙে পড়ে যাওয়া ট্রেনের বগি। পেশায় গাড়ির চালক জনি চৌধুরী বাদশা যার বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের বেশ কাছে এবং দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে ছুটে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন তিনি। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তিনি সেখানে ছুটে যান। "দেখি ব্রিজের ওপরে ট্রেনটা কাত হয়ে পড়ে আছে... মধ্যে দিয়ে ভেঙে একটা বগি নিচে পড়ে আছে ...দুইটা বগি লাইনের ওপরে খাড়া আছে। মানুষজন চিৎকার করছে, কারো মাথা, হাত-পা কেটে গেছে...।" 'উপবন এক্সপ্রেস' আন্তঃনগর ট্রেনটি রোববার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় একটি সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরই তারা উদ্ধার সহায়তায় এগিয়ে আসেন। "লোকজন চিৎকার করছিল। আমরা ভেতরে আটকে পড়া লোকদের বের করে আনি। ট্রেনের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে এরপর উদ্ধারকাজ শুরু করে। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।" রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনায় পড়া উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা বারোটার দিকে মিস্টার চৌধুরী জানান, "এখনো সেখানে তিনটি বগি কাত হয়ে পড়ে আছে। একটা বগি লাইনের ওপর খাড়া হয়ে আছে।" ঘটনার পরপর ফেসবুক লাইভ করছিল অনেকে। সেটা স্থানীয় মানুষদের মধ্যে একধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং উদ্ধারকাজে অসুবিধার সৃষ্টি করে বলেও তিনি জানান। এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিক হয়নি রেল যোগাযোগ। রেল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় নিহত তিন নারীসহ চারজনের মৃতদেহ কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্থানীয় কর্মকর্তারা ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কুলাউড়া সাব স্টেশন থেকে বলা হয়, হাসপাতালে নেয়ার পর একজন মারা যান। ট্রেনের উল্টে যাওয়া বগি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে কুলাউড়া হাসপাতালে অর্ধশতাধিক এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জনের বেশি চিকিৎসাধীন আছেন। সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু জানান, ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, হঠাৎ তারা একটি দুলুনি টের পান এবং এর পরেই বিকট শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানান, ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিলো। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিতাস নদীর উপরে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সড়কপথে যাত্রা ব্যাহত হওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে ট্রেনের ওপরে চাপ বেড়ে যায় বলে তিনি জানান। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।। | বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে ঢাকামুখী একটি ট্রেন কালভার্ট ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়ার পর উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সেজন্যই ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ে। একই ঘটনা ঘটে চিনি, গম, ভুট্টা, মসুর ডাল কিংবা মসলা যেসব দেশ থেকে আসে, তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও। যদিও, বাংলাদেশে বছরের খাদ্যশস্য ও মসলার যে চাহিদা তার প্রায় সবই দেশে উৎপাদন হয়। কিন্তু এর বাইরে একটি বড় অংশের খাদ্যশস্য ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নানারকম নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য রয়েছে। আমদানিতে শীর্ষে দেশসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চার লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আমদানি পণ্যের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানি হয় চীন থেকে, মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি। তালিকায় এরপরেই রয়েছে ভারত, যে দেশটি থেকে মোট আমদানির প্রায় ১৫ শতাংশ আমদানি হয়। এরপর ক্রমে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জুলাই মাসে যে খাদ্য সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে, তার শীর্ষ দশটি পণ্যের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে অপরিশোধিত চিনি, পাম তেল, সয়াবিন তেল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, আদা, মরিচ, গম, চাল, মসুর ডাল এবং পেঁয়াজ। এছাড়া রসুন, চা, তেলবীজ এবং হলুদ রয়েছে শীর্ষ খাদ্য সামগ্রী আমদানির মধ্যে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী, ভোজ্য তেল আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার, গম ৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকার, চাল এক হাজার ৪৪ কোটি টাকার, তেলবীজ ৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকার, চিনি ৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার, এবং তিন হাজার ৪৫৭ কোটি টাকার ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশে এছাড়াও ভুট্টা, শুকনো সবজি, আপেল ও সিট্রাসজাতীয় ফল এবং জাফরান ও হলুদসহ বিভিন্ন মসলা আমদানি করা হয়। কোন্ দেশ থেকে কী আসে? সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি'র আওতায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুরসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানি করা হয়। এর বাইরে চাল, গম এবং ভুট্টার মত খাদ্যশস্য আমদানি হয় জিটুজি মানে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সাথে বাংলাদেশের সরকারের চুক্তির মাধ্যমে, এবং ব্যক্তি উদ্যোগে। চীন বাংলাদেশ তার আমদানির সবচেয়ে বড় অংশটি করে চীন থেকে। প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল, এবং গম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এ বছরের জুলাইতে চীন থেকে ৮ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ভারত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়। দেশটি থেকে যেসব খাদ্য-পণ্য আমদানি হয় দেশে তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলসহ ভোজ্য-তেল, চিনি, মধু, কোমল পানীয়, চিপস, বিস্কুট, চকলেট ও ক্যান্ডি জাতীয় খাবার। বাংলাদেশে বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করতে হয়, যার ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। ব্রাজিল বিশ্বের নবম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে খাদ্য সমাগ্রীর মধ্যে গম, চিনি, মাংস এবং নানা ধরণের শুকনো ফল ও মসলা আমদানি হয়। ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের পামতেল আমদানিতে বড় উৎস ইন্দোনেশিয়া, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ পামতেল আসে এই দেশটি থেকে। এছাড়া সুগন্ধি চাল এবং মসলা আনা হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। আমদানি নির্ভরতা কেন কমানো যায় না? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক মনে করেন, সরকারের দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় না। ফলে প্রতিবছরই দেশে উৎপাদনের পরেও চালের মত আবশ্যিক খাদ্যশস্যের একটি অংশ আমদানি করতে হয়। "এক্ষেত্রে সরকারকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে, প্রয়োজনে প্রতিটি খাদ্যশস্যের চাহিদা হিসাব করে গবেষণা এবং বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরকারকে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।" গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনও আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমকে মেনে নিয়েই সামনে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি চীনের উদাহরণ দেন। "চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন বাংলাদেশের সাথে চীনের শিগগির বাণিজ্যে সমতা আনা সম্ভব হবে না। কিন্তু যদি আমরা চীনের প্রয়োজন মাথায় রেখে রপ্তানি বাড়াতে পারি, তাহলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।" | সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর, হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশে বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করতে হয়, যার ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বেওয়ারিশ লাশ দাফনের দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল করে আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে দিয়ে দেয় বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি দাফনের জন্য। ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো আরো হাজার খানেক বেওয়ারিশ লাশের মতই। কিন্তু ঘটনার মোড় নেয় যখন আঞ্জুমান মফিদুলের কর্মীরা তাকে দাফনের আগে গোশলের জন্য নেন। মৃতব্যক্তির কোমরে কিছু কাগজ খুঁজে পান তারা। সেই সময় উপস্থিত থাকা একজন কর্মী ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এভাবে, তিনি বলছিলেন "আমরা তার কোমরে আইডি কার্ড আর ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাই। আইডি কার্ড দিয়ে সনাক্ত করা যায় নি। এরপর পুলিশকে জানালে তারা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তার পরিচয় বের করেন। দেখা যায় তিনি চট্টগ্রামের বিশাল বড়লোক ফ্যামিলির লোক। পরে তাদের খবর দিলে তারা এসে লাশ নিয়ে যায়"। চট্টগ্রামের এই পরিবারটির সাথে আমি কথা বলেছি। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু পরিবারটি বলেছেন তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন,এবং এই ঘটনায় এতটাই বিপর্যস্ত যে এখন আর এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলেন না তারা। বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা পাঁচ বছরে ৬ হাজার ২১৩ জনকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করেছে তারা। বেওয়ারিশ লাশের ওয়ারিশ বা পরিবার-পরিজনের খবর পাওয়া যায় হাজারে দুই থেকে তিনটা। আঞ্জুমান মফিদুল বলছে ২০১৪ সালের জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই পাঁচ বছরে ৬ হাজার ২১৩ জনকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করেছে তারা। অর্থাৎ প্রতি বছরে এক হাজার জনের বেশি মানুষ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে যাদের কোন ওয়ারিশ পাওয়া যায়নি। ঢাকায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের কার্যালয়। সংস্থাটি ২০১৮ সালের নিখোঁজদের যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এর সংখ্যা ৩৪। পরবর্তীতে ১৯জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের অধিকাংশ বিভিন্ন মামলায় পুলিশের কাছে আটক আছে। আর বাকি ১৫ জন নিখোঁজ। আরো পড়ুন: জরুরী সেবার নামে ৯৯৯ নম্বরে ভুয়া কলই বেশি ঢাকায় মরদেহ কবর দেয়ার জায়গার এত অভাব কেন? পরিবারগুলো কি খোঁজ করে? এই নিখোঁজদের একজন মোহন মিয়া। যিনি ঢাকার মিরপুর থেকে ২০১৮ সালের ১০জুন নিখোঁজ হন। মোহন মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলছিলেন তারা আঞ্জুমান মফিদুলে যাননি। কারণ তার আশা তার স্বামী একদিন ফিরে আসবেন। তিনি বলছিলেন "তার শত্রুতা ছিল বাড়ী ঘর নিয়ে। মুদি দোকান ছিল আমার স্বামীর, সে তো কোন সন্ত্রাস না , নেতাও না যে তারে মেরে ফেলবে। নিখোঁজের পর আমরা অনেকবার পুলিশের কাছে গিয়েছে। কিন্তু আঞ্জুমান মফিদুলে যায়নি। আমরা বিশ্বাস করি সে ফিরে আসবে একদিন"। আরো একজন নিখোঁজ ব্যক্তির বাবা বলছিলেন তার ছেলের খোঁজে একাধিক বার থানা-পুলিশ করেছেন কিন্তু আঞ্জুমান মফিদুলে যাননি।কারণ পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তার ছেলেকে তারা খুঁজে বের করবেন। সে ঘটনার পার হয়ে গেছে ছয় মাস। অনেক দুর্ঘটনায় মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয় তিনি বলছিলেন "অনেক কিছু করলাম। মিডিয়া করলাম, থানা -পুলিশ করলাম। পুলিশ বলতো আপনার ছেলেকে পাবেন।এখন সেই ওসি'ও ট্রান্সফার হয়ে গেছে"। বেশির ভাগেরই মরদেহের খোঁজ করতে কেউ আসেনা এখানে। যেসব পরিবারে কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকেন দীর্ঘদিন, তারাও যান না কারণ তাদের আসা থাকে একদিন হয়ত নিখোঁজ ব্যক্তিটি পরিবারের কাছে ফিরে আসবে এই আশায়। এছাড়া অনেক সময় মরদেহগুলো এমন অবস্থায় থাকে যে সেগুলো সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পরে। বলছিলেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের একজন কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম। মি. ইসলাম বলছিলেন "যদি কোন পরিবার এসে একটা টাইম লিমিট বলতে পারেন যে ঐ সময়ের মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছে বা ব্যক্তির বর্ণনা দিতে পারে তাহলে আমরা আমাদের নথী ঘেটে মেলানোর চেষ্টা করি। তবে সেটা খুব কম হয়। বছরে দুই তিনটা এমন কেস থাকে। তারপর আগে ছবি তোলার সিস্টেম ছিল না।এখন কিছুদিন হল হয়েছে। কিন্তু মরদেহগুলো এত বিকৃত অবস্থায় থাকে যে পরিবারের লোক আসলেও সনাক্ত করতে পারে না"। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে সব মরদেহ যায় পুলিশের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কি পরিচয় শনাক্ত করতে পারে? একজন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার সুরতহাল, ময়নাতদন্ত, জিডি, মামলা সব কিছু হয় সংশ্লিষ্ট থানাতে। এর একটা কপি দেয়া হয় আঞ্জুমান মফিদুল। এছাড়া দেশের সব থানাতে এই বিবরণ বা প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাহলে কেন একটা ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায় না? আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর (মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশন) সোহেল রানার সাথে। প্রশ্ন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে একটা বেওয়ারিশ লাশ পাওয়ার পর আপনারা কী করেন তার পরিচয় বের করার জন্য? উত্তর: ময়নাতদন্ত হয়, পরিচয় জানার জন্য থাম্প ইম্প্রেশন থেকে এনআইডির সাথে মেলানোর চেষ্টা করি, প্রাথমিক ভাবে যদি না পরিচয় পায় সেক্ষেত্রে ডিএনএ নমুনা নিয়ে সিআইডিকে পাঠায়। এছাড়া মামলা হয়। জনপ্রিয় পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেয়, সব থানার ইউনিট গুলোকে জানানো হয়। প্রশ্ন: আপনি ডিএনএ নমুনা, পত্রিকাতে বিজ্ঞাপনের কথা বলছেন এসব কি বিশেষ কেসের ক্ষেত্রে নাকি সব ক্ষেত্রে করেন? উত্তর:এসব আমরা সব অশনাক্তকৃত লাশের ক্ষেত্রে করে থাকি প্রশ্ন: যেহেতু একটা মরদেহের সব তথ্য আপনাদের কাছে থাকে সেক্ষেত্রে এটা কি খুব কঠিন কাজ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য খুঁজে বের করা? উত্তর: নিশ্চিত সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকতে পারে খুঁজে না পাওয়ার পিছনে, যেসকল ক্ষেত্রে অনেক সময় বা কখনো কখনো সম্ভব নাও হতে পারে। পুলিশ বলছে এভাবে তারা একটি মরদেহ শনাক্তের জন্য তিনমাস তদন্ত করতে থাকেন। তারা দাবী করছেন এর ফলে সন্তোষজনক সংখ্যক মরদেহের শনাক্ত করা গেছে তবে সেই সংখ্যাটি দিতে পারেন নি। এদিকে সেটাই যদি হয় তাহলে আঞ্জুমান মফিদুলের পাঁচ বছরের ৬ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ লাশের যে হিসেব দিচ্ছে তার সংখ্যাটা অনেকটা কম আসতো। মুগদার অফিসে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আদৌ কি সম্ভব পরিচয় বের করা? মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ বলছিলেন যেহেতু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সব রকম তথ্য রয়েছে সেক্ষেত্রে একটা মরদেহের শনাক্ত করা কঠিন কিছু না। তিনি বলছিলেন "কেন একটা মরদেহের শনাক্ত করা যাবে না, নিশ্চয় যাবে। এটা শুনলে মনে হবে আমরা বিষয়টি নিয়ে কি সচেতন কিন্তু এটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।যদি পুলিশের উচ্চ পর্যায় থেকে সেই নির্দেশনা থাকে, পলিটিকাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকে তাহলে এটা হবে। পুলিশের অনেক গুলো কাজের মধ্যে এটাকে হায়েস্ট ইম্পর্টেন্স দিয়ে করা উচিত। এখন অনেক প্রযুক্তি বের হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে অবশ্যই বের করা যায়। তবে তার জন্য দরকার বাহিনী গুলোর সৎইচ্ছা"। বাংলাদেশের বেওয়ারিশ লাশের দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের ২৭ টি শাখা সক্রিয় রয়েছে সারা দেশে। তবে দেশের যে কোন প্রান্তে কোন বেওয়ারিশ লাশ পেলে পুলিশ তাদের নির্দিষ্ট কার্যক্রম শেষ করে সৎকারের বা দাফনের জন্য ঢাকাতে পাঠিয়ে দেন। ঢাকার দুইটি স্থানে সেসব লাশের দাফন হয়।এভাবেই বছরের পর বছর ধরে পরিবার গুলো অপেক্ষায় থাকেন তাদের নিখোঁজ আপনজনের, অপরদিকে হাসপাতালের মর্গ, থানা-পুলিশ সব পার করে একজন মৃত ব্যক্তির হয়ত স্থান হয় বেওয়ারিশ লাশের তালিকায়। যেটার খবর শুধু তার পরিবারের কাছেই যায় না। অন্যান্য খবর: ধর্ষণে অভিযুক্ত ২জনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা যুক্তরাষ্টের সাথে বাণিজ্য চুক্তি, কেন চাপে চীন সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে সুন্দরবনে স্যাটেলাইটযুক্ত কচ্ছপগুলো কিভাবে এলো? | ২০১৮ সালের নভেম্বরের ১ তারিখ। বাংলাদেশের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম একটি মরদেহ ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে উদ্ধার করে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | খামার ও ব্যক্তি উদ্যোগে সোনালী মুরগী উৎপাদন হচ্ছে ব্যাপক ভিত্তিতে - ছবিটি বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ থেকে নেয়া পোলট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা অবশ্য এটিকে চিহ্নিত করেন সোনালী মুরগী নামে, যেটি মাংসের বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে দখল করেছে এবং প্রতিযোগিতায় ব্রয়লার মুরগীর বেশ কাছে চলে এসেছে। পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহাম্মদ মহসীন মনে করেন যে দু'টো কারণে বাংলাদেশে মুরগীর মাংসের বাজারে এই পরিবর্তনটি ঘটছে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, মাংসের বৈশিষ্ট্যের কারণে যেমন একদিকে সোনালী মুরগীর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, তেমনই অন্যদিকে খামারীদের মধ্যে ব্রয়লার মুরগী দ্রুত বিক্রি করে দেয়ার একটি প্রবণতার কারণে সেটির চাহিদার প্রবৃদ্ধি আর আগের মত নেই। তিনি বলেন, সোনালী মুরগীর মাংস একটু শক্ত হয় এবং এর স্বাদটিও বেশ ভালো। আর ব্রয়লার মুরগীর বয়স অন্তত ছয় সপ্তাহ পুরো না হলে এগুলোর মাংসের স্বাদ ভালো হয় না, কিন্তু অনেকেই দ্রুত এগুলোকে বাজারে পাঠান লাভের আশায়। "ফলে বাজারে ব্রয়লারের চেয়ে সোনালীর অবস্থা দিন দিন ভালো হচ্ছে।" খামার মালিক সংগঠনের হিসেবে, বাংলাদেশে এখন প্রতি সপ্তাহে উৎপাদন ও বিক্রি হচ্ছে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ ব্রয়লার মুরগী। আর এর বিপরীতে প্রায় ৮৫ লাখ সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। "মাত্র কয়েক বছরেই সোনালী মুরগী এই অবস্থায় এসেছে," জানাচ্ছিলেন মিস্টার মহসীন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের মতে, সোনালী মুরগী বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি অভিযোজনশীল একটি জাত, যার ফলে এ মুরগীর রোগ-বালাই তুলনামূলকভাবে কম হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল অনন্য যেসব কারণে অ্যাকোয়াপনিকস: মাছ ও সবজি চাষের নতুন যে পদ্ধতি বাংলাদেশেও চলছে বায়োফ্লক: নতুন যে পদ্ধতি বাংলাদেশে দ্রুত বাড়াতে পারে মাছের উৎপাদন ব্রয়লার মুরগীর খামার খামারীদের মতে, সোনালী মুরগী দু'মাস বয়সেই প্রায় সাতশো' গ্রাম বা তার চেয়েও বেশি ওজনের হয়ে থাকে, আর বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে ৭/৮শো' গ্রাম ওজনের মুরগীর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। "এছাড়া, স্বাদের কারণে বিয়েশাদী-সহ নানা অনুষ্ঠান-পার্বনেও এখন সোনালী মুরগীই বেশি ব্যবহার হচ্ছে," বলছিলেন খন্দকার মহসীন। বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ এবং পোলট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ - এই দুটো সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২রা ফেব্রুয়ারি পাইকারি পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগীর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে, আর সোনালী মুরগী বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৯০ টাকা দরে। ঢাকার কারওয়ানবাজারের মুরগী ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, ব্রয়লার মুরগী দিয়ে রোস্ট করা যায় না, ফলে সব ধরণের অনুষ্ঠানের রান্নায় সোনালী মুরগীই বেশি ব্যবহার করা হয়। "সোনালীর স্বাদ দেশী মুরগীর মতোই," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বাবুল মিয়া। তিনি আরও জানালেন যে দাম কম হওয়ায় ব্রয়লারের মার্কেটও অনেক বড়, অর্থাৎ এটিরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। "বলতে পারেন খুচরা বিক্রিতে সমানে সমান অবস্থায় আছে।" পাবনায় সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মোহম্মদ আল মামুন হোসেন মণ্ডল বলেন যে বাংলাদেশে প্রচলিত দেশী মুরগীর উৎপাদন কমে যাওয়ায় সোনালী জাতের মুরগীর চাহিদা বাড়ছে, কারণ এটি এদেশের আবহাওয়ায় সহজেই লালন-পালন করা যায়। "সোনালী এক সময় খামার করেই শুরু হয়েছিলো কিন্তু মানুষ এখন ব্যক্তিগতভাবেই উৎপাদন করছে," বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, দুই মাসেই সোনালী মুরগীর ওজন আটশো' গ্রামের মতো হয় বলে বিক্রি বেশ ভালো হয়। অন্যদিকে, নরম মাংসের ব্রয়লার মুরগীর দাম কম বলে নিম্নবিত্তের মানুষের মধ্যে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। বাংলাদেশের মুরগীর বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ আর ডিমের বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশই বিদেশী জাতের মুরগীর দখলে কোথা থেকে এলো এই সোনালী মুরগী বা পাকিস্তানী কক প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সোনালী মুরগীর প্রথম ট্রায়াল করেছিলেন এই দপ্তরেরই একজন সাবেক কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জলিল আম্বর। মূলত আমিষের চাহিদা মেটাতে ও দেশী মুরগির মাংসের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট নিজেই এ জাতটির উদ্ভাবন করে। মিশর থেকে আরআইআর জাতের (মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাত) মোরগ এনে তার সাথে পাকিস্তানের ফাওমি/ফাহমি জাতের মুরগীর ক্রসব্রিডিং করে বাংলাদেশে সোনালী মুরগী উৎপাদন করা হয় জানান খামার মালিক খন্দকার মহসীন। প্রায় দু'দশক আগে যাত্রা শুরুর পর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে এই জাতটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু হয়। ঢাকায় ভোক্তাদের অনেকেই বলছেন যে বাজারে দেশী মুরগীর দাম বেশি বলেই তারা সোনালী মুরগী কিনে থাকেন। "নিজেদের খাওয়া, বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য প্রতিনিয়ত মুরগী কিনতে হয়। এজন্য সোনালী মুরগীটাই বেশী কেনা হয়," বলছিলেন ঢাকার মগবাজার এলাকার সোহেলী আরেফিন, যিনি নিজেই বাজার-সওদা করে থাকেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি, লক্ষণ ও চিকিৎসা | বাংলাদেশের বাজারে খুব দ্রুতই এমন একটি মুরগীর চাহিদা বাড়ছে ভোক্তাদের অনেকের কাছে যা পাকিস্তানী কক হিসেবে পরিচিত। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভিকারুননিসা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের বিক্ষোভ অরিত্রী অধিকারী নামে এই ছাত্রী তার মোবাইল ফোন পরীক্ষার হলে নিয়ে নকল করার চেষ্টা করছিল, এমন অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তার পরিবার এবং বন্ধুদের অভিযোগ, ঘটনার সময় তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে যে হেনস্থা এবং অপমানের শিকার হতে হয়, তার কারণেই এই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্কুলের গেটের সামনে জড়ো হয় নবম ও দশম শ্রেণীর কিছু ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। তাদের দাবি, নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান যে, ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিনদিনের মধ্যে কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে যেন এধরণের ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন মি. নাহিদ। কিন্তু এরকম ঘটনা প্রতিরোধে কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন অভিভাবকরা? আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন ভিকারুন্নিসা স্কুলের সামনে বিক্ষোভরত ছাত্রী-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, "শিক্ষার্থীকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করতে পারবেন না কোনো শিক্ষক; যদি করেন, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন।" এই ধরণের অপরাধের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান মি. নাহিদ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে আত্মহত্যা করে?' ভারতে ঘণ্টায় কেন একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছে? ব্রিটেনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ভিকারুননিসা স্কুলের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকই মনে করেন, দেশে এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও তা সুস্পষ্ট নয় এবং সেসব আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। নাহিদা আক্তার নামের একজন অভিভাবক বলেন, "পুরুষ শিক্ষক দ্বারা নারী শিক্ষার্থীর হেনস্থা হওয়ার কয়েকটি অভিযোগ শোনা গেছে সম্প্রতি। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন আমাদের দেশে নেই।" শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরা অসদাচরণ করলে সেক্ষেত্রে শাস্তির বিধান থাকলেও দেশে এই আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নেই বলে মনে করেন ঐ অভিভাবক। অভিভাবকদের গণ আবেদন কিশোর শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরা অসদাচরণ করলে তার প্রতিবাদ হিসেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সব অভিভাবকদের স্বাক্ষর সম্বলিত গণ আবেদন দাখিল করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন অভিভাবক। তবে সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরণের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তারা। একজন অভিভাবক বলেন, "কোনো শিক্ষকের অসদাচরণের বিরুদ্ধে গণ আবেদন করলে অধিকাংশ অভিভাবক হয়তো সেই আবেদন পত্রে স্বাক্ষরই করবেন না। কারণ তখন ঐ অভিভাবকের সন্তানের ওপর চড়াও হতে পারে অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।" শিক্ষকদের শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা স্কুলে শিশু-কিশোরদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সব শিক্ষককে শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অধিকাংশ অভিভাবক। এই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন অভিভাবকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'কাউন্সেলিং' সুবিধা রাখা অনেক উন্নত দেশেই স্কুল-কলেজের কিশোর শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য কাউন্সেলিং বা বিশেষজ্ঞ মনস্তত্ত্ববিদের সাথে আলোচনার সুযোগ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় কোনো স্কুলেই এ ধরণের ব্যবস্থা নেই। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, কিশোর-কিশোরীদের একটা বড় অংশ সাধারণত অতিরিক্ত অনুভূতিশীল এবং সংবেদনশীল হয়, এবং অনেক সময় সামান্য ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকে; তাই এধরণের শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সব স্কুলেই এই ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। আর এই মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার ব্যবস্থা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নয়, অসদাচরণ করা শিক্ষকদের জন্যও আয়োজন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অভিভাবকরা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঐক্যফ্রন্ট জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? কানাডায় নারীরা কেন অন্যের বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন? বিদেশে গিয়ে কী করলে হাতকড়া পরতে হতে পারে? | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি নামী স্কুল 'ভিকারুন্নিসা নুন' স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করার পর স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আজ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | একটা শিপিং কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করতে পারলে পাওয়া যাবে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য কেউ একজন এই কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমে একটা ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়েছে। ফলে কোম্পানির ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের যে কোন ইমেল তারা মনিটর করতে পারে। এই শিপিং কোম্পানি যাদের কাছ থেকে জ্বালানি কেনে, তারা যখন জ্বালানির বিল পরিশোধ করছে, সেই বিল যে একাউন্ট নাম্বারে যাওয়ার কথা, ভাইরাসটি সেটি পরিবর্তন করে অন্য একাউন্ট নম্বরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এভাবে কয়েক মিলিয়ন ডলার হ্যাকাররা সরিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি কোম্পানির নজরে আসে। কেবল মাঝারি সাইজের শিপিং কোম্পানি নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানিগুলোর একটি, মায়েস্কও এখন এরকম হ্যাকিং নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বুঝতে পেরেছে, হ্যাকাররা চাইলে জাহাজ চলাচলের মতো ব্যাপারেও হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। আরো পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা বস্টনে বিক্ষোভে কোণঠাসা এক উগ্র ডানপন্থী সমাবেশ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সূর্যগ্রহণ: যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে উন্মাদনা হ্যাকাররা বড় শিপিং কোম্পানি মায়েস্ক-কে টার্গেট করেছিল। একটা জাহাজ কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমে হ্যাক করতে পারলে বিস্তর স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। একটা ঘটনার কথা জানাজানি হয়েছে ইতোমধ্যে। জলদস্যুরা একটা বিরাট বড় শিপিং কোম্পানির নেটওয়ার্ক হ্যাক করে জানার চেষ্টা করছিল যে জাহাজে তারা ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছে সেটাতে কি মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ বলেন, জলদস্যুরা একটি জাহাজে উঠে বারকোড দেখেই তখন বুঝতে পারবে কোন কনটেইনারে কি মাল আছে। তখন তারা কেবল সেই মালামাল নিয়ে কেটে পড়বে। জাহাজ চলাচল এখন কম্পিউটার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল কিন্ত কেবল মালামাল ভর্তি কনটেইনার নয়, পুরো জাহাজই এখন আসলে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ জাহাজ চলে এখন পুরোপুরি কম্পিউটার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। একটি জাহাজের কম্পিউটার ব্যবস্থা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেটিকে আর চালানো যাচ্ছিল না। ইলেকট্রনিক চার্ট ডিসপ্লের মতো স্পর্শকাতর নেভিগেশন সিস্টেম করাপ্ট হয়ে পড়েছিল। এমন আশংকা বাড়ছে যে হ্যাকাররা কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়ে পুরো জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। হ্যাকাররা জাহাজের নেভিগেশন সিস্টেমও হ্যাক করার চেষ্টা করছে। এমনকি হ্যাকাররা নেভিগেশন সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ দখল করে একটি জাহাজ যেখানে আছে, সেখান থেকে অনেক দূরবর্তী কোন স্থানে এটি অবস্থান করছে বলে দেখাতে পারে। বিশ্বে প্রায় ৫১ হাজার বাণিজ্যিক জাহাজ আছে, যেগুলো বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ পরিবহন করে। কাজেই হ্যাকাররা যে এই জাহাজ চলাচল খাতকে টার্গেট করেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'জিন্নাহর আদর্শই এখনও পাকিস্তানের ভিত্তি' ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবং তার সন্তান কেমন আছে? ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল? | সাইবারকীল নামের একটি সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম একটি মাঝারি সাইজের শিপিং কোম্পানির ই মেল চালাচালি তদন্ত করে দেখছিল। তদন্তে তারা একটি বিরাট জালিয়াতি উদঘাটন করলো। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। গত দু'সপ্তাহের মধ্যে যারা চীন সফর করেছে,তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবে না বলেও ঘোষণা দেয়। তারপরই চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলো। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের ফলে বরং আতংক ছড়িয়ে পড়বে। চীনে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চীন আর কী বলেছে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়ার পরিবর্তে বরং আতংক ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে প্রথম দেশ যারা চীনাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এবং চীন থেকে তাদের দূতাবাসের কিছু কর্মীকে সরিয়ে নিল। "যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ, যাদের কীনা মহামারী ঠেকানোর শক্তিশালী ব্যবস্থা আছে, তারাই কীনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ না মেনে মাত্রাতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করলো।" যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশও চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, সীমান্ত বন্ধ করে দিলে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াবে, কারণ তখন লোকজন অন্যপথে বিভিন্ন দেশে ঢোকার চেষ্টা করবে। চীনের মূল ভূখন্ডে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৩৬১ জন মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর চীন সরকার ভীষণ ক্ষিপ্ত অন্যদিকে চীনের বাইরে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনে করোনাভাইরাসে মারা গেছে একজন। যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে গত ২৩শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে জরুরী কাজে নিয়োজিত ছাড়া অন্য সব মার্কিন নাগরিককে চলে যেতে বলে। এর এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার জরুরি কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারি ছাড়া আর সব সরকারি কর্মচারি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চীন ছাড়ার অনুমতি দেয়। গত ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের ব্যাপারে বিশ্ব জুড়ে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে তাদের সব সরকারি কর্মচারির পরিবারের ২১ বছরের কম বয়সী সদস্যদের চলে আসতে নির্দেশ দেয়। অন্যান্য খবর: পটুয়াখালীতে ২০ জন চীনা নাগরিক কোয়ারেন্টাইনে ট্রাম্পকে হারানোর লড়াই শুরু হচ্ছে আমেরিকায় ঢাকায় যে ৫ কারণে এত কম ভোট পড়েছে চীনের হুবেই প্রদেশে ছিলেন, এমন মার্কিন নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর তাদের ১৪ দিন 'কোয়ারাইন্টইনে' বা সবার কাছ থেকে আলাদা অবস্থায় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় কী কাজ হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডঃ টেড্রোস আডহানম জেব্রেইয়েসাস বলেন, "ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভালোর চেয়ে ক্ষতির আশংকাই বেশি। কারণ এর ফলে তথ্য বিনিময় এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।" | করোনাভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আতংক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের সঙ্গে এশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়াতে যায় ময়ূর প্রায় দুই শতাব্দী আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা অস্ট্রেলিয়ায় পোষা পাখি হিসেবে নিয়ে গিয়েছিল ময়ূর। এরপর পেখম মেলা সেই পাখির সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় সবাই। কিন্তু এখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরের বাসিন্দারা বিপাকেই আছেন এই সুদৃশ্য পাখিটিকে নিয়ে। শহরের মানুষ রীতিমত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। বিভক্তির কারণ, শহরে এই পাখি মুক্ত ঘুরে বেড়াবে না কি ফাঁদ পেতে তাদের ধরে মেরে ফেলা হবে- সে নিয়ে! যখন তখন লোকজনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং নষ্ট করে সবজি ও শস্যদানা সম্প্রতি ক্যানবেরা শহরে ময়ূরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। শহরের সড়কে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা, যখনতখন ঢুকে পড়ছে লোকের বাড়িতে। শোনা যায়, কিছুদিন আগে স্থানীয় এক লোক তার বাড়ির বাথরুমে ঢুকে দেখে সেখানে দেয়ালে সাঁটানো আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে একটি ময়ূর। এছাড়া পাখির ডাকে, বিশেষ করে তাদের ডিম পাড়ার মৌসুমে, অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে শহরের বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে লোকেজনের শস্য ও সবজিও খেয়ে ফেলছে। তাছাড়া বড় সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের গাড়ির চালকদের প্রায়ই মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়। শহরে অন্য পাখিদের থাকার ও ডিম পাড়ার জায়গাতেও ঢুকে পড়ছে ময়ূর। এসব কারণে নগর কর্তৃপক্ষ একটি আইন প্রস্তাব করেছে যেখানে বছরে অন্তত একবার একটি ফাঁদ পাতা কর্মসূচী নেয়া হবে, যাতে ময়ূরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়। আর প্রস্তাবিত এই আইনের পক্ষে সমর্থনের অভাব নেই। কিন্তু বাধ সেধেছে শহরের বাসিন্দাদের আরেকটি অংশ। তারা বলছেন, এই পাখিরাও এ শহরেরই বাসিন্দা, ফলে তাদের মেরে ফেলার এই সিদ্ধান্ত হবে নির্মম ও অমানবিক। অনেকে একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করেন। বিবিসিতে আরও পড়তে পারেন: মোবাইল ফোনে ফ্রি অ্যাপ থেকে আয় হাজার হাজার ডলার বিজেপির আমন্ত্রণে ভারত সফরে আওয়ামী লীগ নেতারা শিশু-ধর্ষণের কারণ কি শুধুই বিকৃতকাম না কুসংস্কার? অনেকে যুক্তি দিচ্ছেন, বাড়ির চারপাশে বা সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাশে পাশে ময়ূর হাঁটছে এটিই যেন তাদের চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন তার অন্যথা তারা চান না। ময়ূরের সংখ্যাধিক্য নিয়ে সমস্যার শুরু ২০০৩ সাল থেকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অন্য শহরে ময়ূরের সংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যা সামলাতে কর্তৃপক্ষ আরও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন ব্রিসবেনে কেউ ময়ূর পুষতে পারবেন না, এমন ধরণের আইন করতে যাচ্ছে। অন্যথায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা গুনতে হবে। এখন ক্যানবেরা শহরবাসীদের প্রতিবাদে ময়ূরের ভাগ্য বদলায় কি-না সেটাই দেখার বিষয়। | ময়ূর মূলত এশিয়া অঞ্চলের পাখি হলেও, এখন সে পাখিই সমস্যা হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার শহর ক্যানবেরায়। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশে আজ থেকে সর্বনিম্ন মোবাইল কলরেট চালু। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বা বিটিআরসি বলছে, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য অনেক গবেষণা করে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিটিআরসি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছিলেন, "যেমন আপনি গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে কথা বলবেন, সেক্ষেত্রে কলরেট ছিল অনেক বেশি। এখন আপনি যার সাথেই কথা বলেন কলরেট ৪৫ পয়সা।" আরেকটা সুবিধার দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা একটু দুর্বল অপারেটর তারা একটু শক্তিশালী হতে পারবে। মি: হক জানান, আগে গ্রামীণ টু বাংলালিংক নাম্বারে কথা বললে ৬০/৭০ পয়সা হতো। আর গ্রামীণফোন থেকে গ্রামীণফোনে কথা বললে ২৫ পয়সা হতো। সারা বিশ্বে মোবাইল কলরেটের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। "আমরা অনেক দিন ধরে স্টাডি করছিলাম, এর ফলে এখন অন্য অপারেটরগুলো ব্যবসা করতে পারবে।" ফলে, এখন যেকোন অপারেটরে ফোন করলে প্রতি মিনিট রাত-দিন ৪৫ পয়সা কলরেট হবে। তবে কোনো কোনো অপারেটর যেমন গ্রামীণফোন থেকে গ্রামীণফোনে ২৫ পয়সা কলরেট ছিল, তাদের একটু অসুবিধা হবে বলে তিনি স্বীকার করেন। কিন্তু সার্বিকভাবে গ্রাহকের সুবিধেই হবে বলে উল্লেখ করেন মি: হক। আরো পড়ুন: ফাইভ জি সম্পর্কে যেসব তথ্য না জানলেই নয় আপনার মোবাইল নাম্বার কতটা নিরাপদ? মোবাইল গ্রাহকদের কতটা সুবিধা দিতে পারবে ফোর-জি? মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম এত বেশি কেন? 'ফটোগ্রাফি শিল্পকে হত্যা করেছে মোবাইল ফোন' | বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার থেকে সব অপারেটরে ৪৫ পয়সা কলরেট চালু হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রয়েছে এমন এক শহর যার নাম 'সান্টা ক্লজ টাউন'। পশ্চিমা লোক-কাহিনীতে ক্রিসমাসে স্যান্টা ক্লজ সবার জন্য উপহার নিয়ে আসেন। কিন্তু আমেরিকার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রয়েছে এমন এক শহর যার নাম 'সান্টা ক্লজ টাউন'। সেখানে বছরে অন্তত ২০ হাজার চিঠি আসে সান্টা ক্লজের নামে। কেমন সে শহর? স্যান্টা ক্লজ শহরে যেন সারা বছরই ক্রিসমাস। শহরের সীমানা যেখানে শুরু সেখানে স্যান্টা ক্লজের বিশাল আকারের একটি ভাস্কর্য। একই রকম ভাস্কর্য রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে। এখানকার মূল রাস্তার নাম ক্রিসমাস বুলোভার্ড। ক্রিসামসের সাথে জড়িয়ে থাকা লোক-কাহিনীতে যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর নামে রয়েছে শহরের আরও অনেক কিছু। যেমন রুডল্ফ লেন, ক্রিসমাস লেক। স্যান্টা ক্লজের নামে শহরটিতে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। শহরের স্যান্টা ক্লজ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট কুক বলছেন স্যান্টা ক্লজের নামে শহরটিতে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। প্রেরকের কাছে সেগুলোর উত্তরও পৌঁছে যায়। নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ প্যাট কুক ও তার শ'দুয়েক স্বেচ্ছাসেবী এসব চিঠির জবাব দেন। পশ্চিমা লোক-কাহিনীতে ক্রিসমাসে স্যান্টা ক্লজ সবার জন্য উপহার নিয়ে আসেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। সেই উপহার পেতে হলে সারাবছর দুষ্টুমি থেকে দূরে থাকতে হবে। "যেমন ধরুন সারা বছর ভালো হয়ে চলার জন্য আমরা ধন্যবাদ দেই। স্কুলে ভালো করে পড়াশোনা করার জন্য, অথবা ভাইবোনের সঙ্গে ঝগড়া না করার উপদেশ দেই। ছোট শিশুদের যেসব উপদেশ বানী দেয়া হয়, সেগুলো আর কি। ওদেরকে একটু জানানো যে সান্টা তাদের চিঠিটি পড়েছেন" বলছেন প্যাট কুক । স্যান্টা ক্লজ ও তার একজন সহকারী চিঠির উত্তর লেখার দায়িত্ব যেমন স্বেচ্ছাসেবীরাই নিয়ে থাকেন, তেমনি এর খরচও চলে মূলত দানের অর্থে। শহরের বাসিন্দা মোটে দু'হাজার। কিন্তু শহরটিতে সারা বছর জুড়ে বেড়াতে আসেন অনেক লোক। ছয়ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে মিসিসিপি থেকে এসেছেন আর্মস্ট্রং পরিবার। "ক্রিসমাসে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় সে নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম। আমরা ক্রিসমাসে কোথাও না কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করি। ফেইসবুকে হঠাৎ একটা আর্টিকেল দেখলাম যেখানে লেখা ছিল পরিবার নিয়ে ক্রিসমাসে বেড়াতে যাওয়ার সেরা দশটি যায়গা কোনগুলো। এভাবেই বুদ্ধিটা পেলাম। ঐ লিস্টে যে স্থানগুলোর নাম ছিল তার মধ্যে এই শহরটিই আমাদের সবচাইতে কাছে"। স্যান্টা ক্লজ শহরের গীর্জা এবং পোস্ট অফিস কিভাবে নাম হল স্যান্টা ক্লজ শহরের? ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল স্যান্টা ফি। সেসময় শহরটিতে একটি নতুন পোষ্ট অফিস চালু করতে গিয়ে জানা গেলো আরও এক শহরের নাম স্যান্টা ফে। চিঠি পাওয়ার ঝামেলা এড়ানোর জন্য তখন নাম না বদলে আর উপায় ছিলনা। তবে শহরের বাসিন্দারা স্যান্টা ক্লজ নামটি ঠিক কিভাবে বেছে নিলেন, সেই গল্পের কতটুকু বাস্তব আর কতটুক আসলেই গল্প -সেটি এত দিন পর নিশ্চিত জানা যায়না। এখানে আসা বহু চিঠির খামে শুধু স্যান্টা ক্লজের নামটাই লেখা থাকে। | লাল টুসটুসে তার গাল আর ধবধবে সাদা লম্বা দাড়ি। পরনে পা থেকে মাথা পর্যন্ত লাল রঙের স্যুট। বিশাল বপু জুড়ে কালো রঙের বেল্ট। ক্রিসমাসের মৌসুম এলেই পশ্চিমা বিশ্বে স্যান্টা ক্লজের এমন প্রতিকৃতি দেখা যায় প্রায় সবখানে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | এই গাড়ীতে করে হামলা করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা বলছেন, গত জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল হিলের রক্তাক্ত দাঙ্গার তিন মাসের কম সময়ের ব্যবধানে আবারো এই হামলা চেষ্টা হলো। তবে এ হামলার সাথে সন্ত্রাসী তৎপরতার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করছেন কর্মকর্তারা। ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট কনটে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এখন পর্যন্ত এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। এক বিবৃতিতে তিনি ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নাম উইলিয়াম বিলি ইভান্স বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ক্যাপিটল পুলিশে তিনি ১৮ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তদন্তের কাজ করছেন এমন দুইজন আইন-শৃঙ্খলা বিভাগের সূত্র বলছে সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ২৫ বছর। তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুজন কর্মকর্তারা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম নোয়াহ গ্রিন। সে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। আরো পড়ুন: ক্যাপিটল হিল হামলা: 'যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো দাঙ্গাকারীরা' ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে ক্যাপিটল হিল হামলা: 'যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো দাঙ্গাকারীরা' আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে হামলা সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে স্থানীয় সময় দুপুর একটার দিকে ক্যাপিটল হিলের পুলিশের অ্যালার্ট সিস্টেম থেকে একটা মেইল আসে। যেখানে বলা হয় ক্যাপিটল হিলের ভিতরে বাইরে যারা রয়েছে তারা যেন কোন কিছুর আড়ালে অবস্থান করে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। সবাইকে জানালা বা দরজার কাছ থেকে সরে যেতে বলা হয়। পুলিশ বলছে এই সময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একটি নীল রঙের সেডান গাড়ি নিয়ে ক্যাপিটল উত্তর দিকের বেরিকেডের উপর আছড়ে পরে। তারপর চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ছুরি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একসময় পুলিশের একজন সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাকে গুলি করে। হামলাকারী নিহত হবার আগেই তার ছুরিকাঘাতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার উড়ছে, দুটি স্ট্রেচারে করে দুইজনকে এম্বুলেন্সে নেয়া হচ্ছে। রবার্ট কনটে বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী একাই ছিল। কি প্রতিক্রিয়া আসছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "এই সহিংস হামলার কথা জেনে তাঁর হৃদয় ভেঙ্গে গেছে"। তিনি পুলিশ অফিসারের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তার সম্মানে হোয়াইট হাউসের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ডেমোক্রেটিক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, "আমেরিকানদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে"। নিহত মি. ইভান্সকে 'গণতন্ত্রের শহীদ' বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। রিপাবলিকান সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা মিচ ম্যাককনেল লিখেছেন তিনি প্রার্থনা করছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সহিংসতার দোষারোপ মাথায় নিয়ে এখন কী করবে হেফাজত নির্জন কারাবাসের অবর্ণনীয় যন্ত্রণার কিছু অভিজ্ঞতা করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন রেকর্ড গণহত্যার ক্ষতিপূরণের সঠিক মূল্য কি জার্মানি দেবে? | ওয়াশিংটন ডিসিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে এক হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিতে হয়েছে আরো একজনকে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ন্যান্সি শোর ন্যান্সি বেঁচে যান। তাকে হত্যার জন্য অর্থ দেবার কারণে পুলিশ যাকে অভিযুক্ত করেছে, হাসপাতালের বিছানায় থাকা অবস্থায় তাঁর নাম শুনে রীতিমতো বিস্মিত হন ন্যান্সি। "আমাদের বিয়েটা ছিল খুবই দারুণ," বলছিলেন ৫৭ বছর বয়সী ন্যান্সি শোর। "নিশ্চয়ই আমরা কিছু উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। আমরা শতভাগ নির্ভুল ছিলাম না। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় নানা বিষয় সামনে আসতো এবং আমরা সেগুলো সমাধান করতাম।" ১৯৮৩ সালে ন্যান্সি বিয়ে করেন ফ্রাঙ্ক হাওয়ার্ডকে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। ক্যারোলটন এবং টেক্সাস শহরে তারা বেড়ে উঠেছে। "সে ছিল খুব দয়ালু, ভদ্র এবং ভালাবাসা-প্রবণ। সন্তানদের সাথে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল," বলছিলেন ন্যান্সি। "বাচ্চারা যখন ছোট ছিল তখন সে তাদের ফুটবল খেলা শেখাতো। বাচ্চাদের সব খেলা সে দেখতে যেতো।" কিন্তু সন্তানরা যখন বড় হয়ে যায় তখন ফ্রাঙ্ক একজন হিসাবরক্ষক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য নানা জায়গায় যেতে শুরু করেন। তখন ন্যান্সি এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা অনুভব করতে থাকেন। ন্যান্সি ঘরের কাজ করতেন এবং ঘরেই থাকতেন। ন্যান্সি এবং ফ্রাঙ্ক কিন্তু ফ্রাঙ্ক এবং সন্তানরা যখন নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান সে সময় পরিস্থিতি কঠিন হতে শুরু করে ন্যান্সির জন্য। তাদের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে। ২০১২ সালের আগস্ট মাসের ১৮ তারিখে ফ্রাঙ্ক বাড়ির বাইরে ছিলেন। ন্যান্সি ভেবেছিলেন ফ্রাঙ্ক যথারীতি তার কাজে বাইরে গেছে। ন্যান্সি গিয়েছিলেন গীর্জায়। ফেরার পথে একটি দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরে আসছিলেন তিনি। গাড়িটি গ্যারেজে আসা মাত্রই এক লোক আকস্মিকভাবে তাকে পেছন দিক থেকে ধরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেয়। সে ব্যক্তি প্রথমে ন্যান্সির হাত ব্যাগটি দাবি করে। অস্ত্রধারীর সাথে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ন্যান্সি ঘুরে সে লোকটির মুখোমুখি দাঁড়ায়। ন্যান্সি হঠাৎ করে তার সাথে থাকা জিনিসপত্রের ব্যাগটি লোকটির হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সে ব্যক্তি ন্যান্সির কাছে আবারো তার হাত ব্যাগটি দাবি করে। ন্যান্সি যখন তার হাত ব্যাগ দিয়ে অস্ত্রধারীকে ধাক্কা দিলেন তখন সে ব্যক্তি ন্যান্সির মাথায় গুলি করে। তাৎক্ষনিক-ভাবে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ন্যান্সি। লোকটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। ন্যান্সির যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে তাঁর খুবই কষ্ট হচ্ছিল এবং তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকেন। "আমার মনে হচ্ছিল যে আমি মারা যাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে জেগে উঠার শক্তি দিলেন," বলছিলেন ন্যান্সি। ঘাতক ব্যক্তি ন্যান্সির হাত ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাবার কারণে তাঁর কাছে কোন মোবাইল ফোন ছিল না। সে কোন রকমে হামাগুড়ি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে জরুরী বোতামে চাপ দিলেন যাতে তাকে উদ্ধারের জন্য জরুরী সাহায্য আসে। কিন্তু বোতামটি কাজ না করায় ন্যান্সি কোন রকমে তাঁর ঘরে এসে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। ন্যান্সি বলেন, " আমি নিজের দিকে তাকালাম। আমি দেখলাম আমার চোখ থেকে রক্ত পড়ে শার্ট ভিজে যাচ্ছে। আমি তখনো বুঝতে পারিনি যে আমার বাম চোখটি হারিয়েছি।" শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও ন্যান্সি জরুরী সাহায্যের জন্য টেলিফোন করেন। তখন একজন পুলিশ সদস্য সেখানে এসে ন্যান্সির সন্তানদের টেলিফোন করে। পরে সন্তানরা তাদের বাবাকে টেলিফোনে এ ঘটনা জানায়। ন্যান্সির স্বামী ফ্রাঙ্ক দ্রুত হাসপাতালে চলে আসে। কারাগার থেকে ছাড়া পেলে আবারো ফ্রাঙ্কের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ন্যান্সি। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করার সময় ফ্রাঙ্কের মোবাইল ফোনে কিছু বিস্ময়কর তথ্য পায়। এসব তথ্যের মধ্যে ছিল অন্য এক নারীর কিছু ছবি এবং মোবাইল ফোনে বার্তা আদান-প্রদান। ন্যান্সিকে যখন গুলি করা হয় তখন তাঁর স্বামী ফ্রাঙ্ক পেশাগত কাজে নয় বরং অন্য নারীর সাথে ছিলেন। তিন বছর ধরে সেই নারীর সাথে ফ্রাঙ্কের গোপন প্রণয় চলছিল। ন্যান্সি যখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন এবং হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সে সময় তাঁর স্বামী টেলিফোন করে গোপন প্রণয়ের কথা স্বীকার করেন। একথা শুনে ন্যান্সি কাঁদতে শুরু করলেও তাঁর জন্য আরো ধাক্কা অপেক্ষা করছিল। পুলিশ এক পর্যায়ে ন্যান্সিকে জানায় যে তাকে হত্যা প্রচেষ্টার জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। যার নাম জন ফ্রাঙ্কলিন হাওয়ার্ড। এ ব্যক্তিই হচ্ছেন ন্যান্সির স্বামী। ন্যান্সিকে হত্যার জন্য ফ্রাঙ্ক একটি অপরাধী-চক্রকে কয়েক বছর ধরে অর্থ দিয়ে আসছিলেন। ন্যান্সি জানেন না যে তাঁর স্বামী কেন তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তবে তাঁর বিশ্বাস ফ্রাঙ্ক জানতো যে ন্যান্সি কখনোই বিবাহ বিচ্ছেদে রাজী হবে না। সেজন্যই তাকে হয়তো হত্যা করতে চেয়েছে। বিচারে ফ্রাঙ্কের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে এবং ৩০ বছর সাজা ভোগ করার আগ পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি পাবেন না। ততদিনে তাঁর বয়স হবে ৮৫ বছর। বিচার শুরুর আগে ন্যান্সির সাথে ফ্রাঙ্কের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। কিন্তু ফ্রাঙ্ক যদি এখন মুক্তি পায় তাহলে তাদের সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন কিংবা তাকে আবারো বিয়ে করতে ইচ্ছুক ন্যান্সি। "এর কারণ হচ্ছে আমি তাকে এখনো ভালোবাসি। এটা কোন আবেগ-তাড়িত ভালোবাসা নয়, আমার সন্তানদের পিতা হিসেবে তার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে এবং সেটা সবসময় থাকবে," বলছিলেন ন্যান্সি। ফ্রাঙ্ক কারাগারে যাবার পর থেকে ন্যান্সির সাথে তার কখনো দেখা হয়নি। ন্যান্সি একবার ভেবেছিলেন যে তাকে দেখতে যাবেন। কিন্তু তিনি আপাতত দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। তাঁর মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ফ্রাঙ্কের সাথে দেখা ন্যান্সি একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে চান। সে প্রশ্নটি হচ্ছে, তাদের বিয়েতে কী সমস্যা ছিল? ফ্রাঙ্ক কেন তাঁর কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য নারীর দিকে ঝুঁকে পড়েছিল? | ২০১২ সালের অগাস্ট মাসের একদিন ন্যান্সি শোর যখন গাড়ি চালিয়ে গীর্জা থেকে বাসার দিকে ফিরছিলেন তখন এক ঘাতক পিস্তল নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে তারা গরুর প্রজনন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব বাতিল করে দেবে "প্রস্তাবটি আমার দায়িত্ব নেবার আগেই গিয়েছিলো। আমি ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি সংশ্লিষ্টদের সাথে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এ ধরণের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব আমরাই বাতিল করে দেবো," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে গরুর প্রজনন দেখতে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা সফরের জন্য এতো কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব হলো, বা এ ধরণের প্রস্তাবনা তৈরির ক্ষেত্রে আসলে কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা প্রজেক্ট তৈরি করেন তারা অনেক সময় প্রজেক্টের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণের জন্য এ ধরণের প্রস্তাব করেন। "যদিও অনেক সময়ই তা অনুমোদন পায় না। আর করোনার এই সময়ে এগুলোকে কোনো ভাবেই আমরা অনুমোদন দিতে পারি না," বলছিলেন মি. করিম। যদিও বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরণের বিদেশ সফরের প্রস্তাবনা বা বিদেশ সফরের ঘটনা প্রায়শই আলোচনায় আসে ও তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়ে থাকে। গরুর প্রজনন জ্ঞান অর্জনে এসব কর্মকর্তারা শেষ পর্যন্ত ওই চারটি দেশে যেতে পারলে তাদের জন্য সরকারের প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় হতো। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ জন কর্মকর্তার পুকুর খনন দেখার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব একনেকে পাস হলে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিলো। তখন সরকারি অর্থে এ ধরণের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, "পুকুর খনন শিখতে আমরা উগান্ডায় যাচ্ছি কেন?" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: একটি ক্যামেরা আনতে জার্মানি যাচ্ছেন তিন কর্মকর্তা কর্মকর্তাদের অদ্ভুত বিদেশ সফরের তিনটি ঘটনা বিদেশ থেকে আসার সময় আনতে পারবেন যা কিছু বোয়িংয়ের একটি বিমান ডেলিভারি নিতে বাংলাদেশের ৪৫ জনের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, এবারের গরুর প্রজনন বিষয় বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব তার কাছে যায়নি তবে মহিষ নিয়ে একটি প্রস্তাব তিনি দেখেছেন। "আমরা বৃহস্পতিবার সচিবদের নিয়ে বসবো। করোনার এই সময়ে কৃচ্ছতা সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। অপ্রয়োজনীয় সব ব্যয় বন্ধ করা হবে"। তিনি বলেন, "নানা ছুতোয় বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা আছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই তবে আমরা বৃহস্পতিবার এগুলো নিয়ে আলোচনা করবো"। "অনেক সময় প্রশিক্ষণের জন্য যাওয়ার দরকার পড়ে কিন্তু কোনটা কোন ধরণের কাজ এবং সেটার প্রয়োজন কতটা সেটাও তো দেখতে হবে। সব বিষয় আমাদের নজরে আছে এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি"। কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বিদেশ সফর আগেও হতো কিন্তু এখন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত বছর ডিসেম্বরে বোয়িংয়ের একটি বিমান ডেলিভারি আনতে বাংলাদেশের ৪৫ জন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তুমুল হাস্যরসের জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত ওই সফর আর বাতিল হয়নি। এর আগেও একটি ক্যামেরা কিনতে তিনজনের বিদেশ যাওয়া, নলকূপ খনন শিখতে একাধিক কর্মকর্তার বিদেশে সফর নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। কিভাবে এসব বিদেশ সফর ঠিক হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় নানা ধরণের প্রকল্প হয়। "এসব প্রকল্পে বিশেষ করে বিদেশি অর্থায়ন থাকলে কর্মকর্তারা তাতে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করেন। অনেক সময় অনেক প্রকল্পে বেসরকারি কোম্পানির অর্থ সহায়তা নেয়ার উদাহরণও আছে"। জার্মানি থেকে একটি ক্যামেরা কিনতে তিনজন কর্মকর্তার বিদেশে যাওয়ার ঘটনায় জানা গেছে যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিই তাদের অর্থে ওই কর্মকর্তাদের ওই সফরের আয়োজন করেছিলো। পরিকল্পনা মন্ত্রী মি. মান্নান বলছেন টেকনিক্যাল বা বিশেষ দক্ষতার জন্য অনেক সময় প্রশিক্ষণকে উৎসাহিত করা হয় বা এর দরকারও আছে। কিন্তু সবসময় সে ধরণের বিবেচনা থেকে এসব প্রস্তাব যে আসেনা সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে, বলছিলেন তিনি। মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলছেন, প্রকল্প তৈরির সময় এসব প্রস্তাবগুলো আসলেও তারা এসব প্রস্তাবকে অনুমোদন করবেন না। শুধুই সরকারি কর্মকর্তারাই যান ? গত বছর ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার লিফট কেনার জন্য স্পেন ও সুইজারল্যান্ড সফরের ঘটনায় তুমুল শোরগোল হয়েছে। পরে সমালোচনার মুখে উপাচার্য নিজে তার নাম প্রত্যাহার করে নেন। আবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের আরেকটি ঘটনা বেশি আলোচনার জন্ম দেয় গত বছরের জুলাইয়ে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা'র আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। তাদের পুরস্কৃত করতে নাসার পক্ষ থেকে ফ্লোরিডায় আমন্ত্রণ জানানো হয় দলটিকে। কিন্তু ভিসা জটিলতায় বিজয়ী দলের সদস্যরা যেতে না পারলেও তাদের সহযোগী হিসেবে যাদের যাওয়ার কথা ছিল, সেই সরকারি কর্মকর্তারা শেষপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করে আসেন সরকারি খরচে। | মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, গরুর কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে জ্ঞান আহরণে বিদেশ সফরের যে প্রস্তাব গেছে সেটি একনেকের বৈঠকের আগেই তারা বাতিল করে দেবেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | চ্যাঙই-৫ অভিযানে কাজ করা কয়েকজন কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ওয়েনচ্যাং স্পেসক্রাফট উৎক্ষেপণ এলাকায় যারা স্পেস কমান্ডার হিসেবে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট ঝুও চেংইয়ু। কিন্তু সেখানে তাকে শ্রদ্ধা করে সবাই ডাকেন 'বিগ সিস্টার' বলে। চ্যাঙই-৫ চন্দ্র মিশন গত সাত বছরে চীনের তৃতীয় সফল অভিযান যার মাধ্যমে তারা সফলভাবে চাঁদের বুকে কোন নভোযান নামিয়েছে। ঝুও চেংইয়ু এই অভিযানে 'রকেট-সংযোগ সিস্টেমের' দায়িত্বে ছিলেন, যাকে পুরো অভিযানের সাফল্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে ঝুও চেংইয়ুকে নিয়ে চলছে মাতামাতি। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে তাকে ২৩শে নভেম্বর চ্যাঙই-৫ অভিযানের সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ নারীদের একজন বলে বর্ণনা করার পর এটা শুরু হয়। যেহেতু তার বয়স খুব কম, তাই চীনের জনগণের মাঝে তাকে নিয়ে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মেধা ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করা হচ্ছে। তাকে চীনের গর্ব বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। কয়েকজন ঝুও চেংইয়ুর তুলনায় তাদের নিজের জীবনে তারা কি করতে পেরেছেন, তা নিয়ে রঙ্গ করেছেন। ঝুও চেংইয়ু চীনের গুইঝু প্রদেশের। তাকে নিয়ে যে এত মাতামাতি চলছে, এটা তার ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি বলেই মনে হচ্ছে। স্থানীয় একটি নিউজ সাইটের খবর অনুযায়ী, সাক্ষাৎকারের জন্য অনেক অনুরোধ জানানো হলেও মিজ ঝুও তাতে রাজি হননি। তার কাজের পথে এই খ্যাতি কোন বাধা হয়ে দাঁড়াক সেটা তিনি চান না। চীনে চাঁদের এক দেবীর নামে এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে চ্যাঙই-৫। এই চাঁদের বুক থেকে পাথর এবং মাটি সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠাবে, যাতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চাঁদের গঠন সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারেন। আরও পড়ুন: চাঁদের পৃষ্ঠে পতাকা স্থাপন করলো চীন চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান চাঁদ থেকে পাথর-মাটি তুলে আনছে চীনা রকেট চ্যাঙই-৫ অভিযানের মাধ্যমে চীন মহাকাশে নিজেদের এক পরাশক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে যদি এই অভিযান সফল হয়, তাহলে সেটি হবে গত ৪০ বছরে এ ধরণের প্রথম ঘটনা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পর চীন হবে তৃতীয় দেশ যারা এরকম অভিযানে সফল হলো। বেইজিং এখন একটি 'স্পেস সুপারপাওয়ার' বা মহাকাশের পরাশক্তি হতে চাইছে। তাদের চন্দ্র অভিযান সেই উচ্চাভিলাষ পূরণের লক্ষ্যেই করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এটিকে তার দেশের 'স্পেস-ড্রিম' বলে বর্ণনা করেছেন। এটিকে চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে। চীন যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় শক্তি হয়ে উঠছে, মহাকাশ অভিযান দিয়ে তারা সেটা দেখাতে চাইছে। তারা বলতে চাইছে, বিশ্বমঞ্চে তাদেরকে এখন এক বড় শক্তি হিসেবে সমীহ করে চলার সময় এসেছে। চীনের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী অধ্যাপক আউইয়াং জিউয়ান দেশটির পিপলস ডেইলি পত্রিকাকে ২০০৬ সালেই বলেছিলেন, "চন্দ্র অভিযান হচ্ছে একটি দেশের পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ক্ষমতার একটি প্রতিফলন।" গত বছর চীন চাঁদের উল্টো পিঠে একটি রোবটিক মহাকাশযান নামিয়েছিল। চাঁদের উল্টোপিঠে মহাকাশযান নামানোর ক্ষেত্রে তারাই প্রথম সাফল্য দেখিয়েছে। আগামী কয়েক দশকে চীন চাঁদে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনেরও পরিকল্পনা করছে। তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হচ্ছে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো। ওয়েনচ্যাং উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে চ্যাঙই-৫ উৎক্ষেপনের আগের ছবি। বিবিসির চীন বিষয়ক মিডিয়া বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন বলছেন, যে পৌরাণিক চরিত্রের নামে এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে, তার গল্প বেশিরভাগ চীনাই জানে। গল্পটি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটের গল্পের চেয়ে বেশি আলাদা কিছু নয়। এক নারী অমরত্বের ঔষধ পান করেছিল, কিন্তু নিজের স্বামীর জন্য কোন ঔষধ রেখে দিতে ভুলে গিয়েছিল। অমরত্বের পর চ্যাঙই চাঁদে উড়ে যায়, যাতে তার স্বামীর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কাছাকাছি থাকতে পারে। চীনে প্রতি বছর চন্দ্র উৎসবের সময় এই গল্প শিশুদের বলা হয়। কাজেই চ্যাঙই বলার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠে চাঁদের দেবীর রোম্যান্টিক ছবি। চীন বিষয়ক মিডিয়া বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন বলছেন, এজন্যে চীনের চন্দ্র অভিযানের জন্য এক বলিষ্ঠ নারী চরিত্রের দরকার ছিল। একারণেই ২৪ বছর বয়সী ঝুও চেংইয়ুর ছবি সব সরকারী প্রচারমাধ্যমে এত ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। তাকে বর্ণনা করা হয়েছে মহাকাশে চীনের সামনের কাতারের সৈনিক বলে। চীনে এখন ক্রমাগত এরকম বলিষ্ঠ নারী চরিত্রকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। চীনের শীর্ষ নেতৃত্বে পুরুষদের খুব বেশি প্রাধান্য। গত নভেম্বরে চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা পাঠকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল, এ বছর যে নারীদের যেসব অর্জন, সে সম্পর্কে মতামত জানাতে। সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানী চেন ওয়েই, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এবং মার্শাল ফাইটার ঝাঙ ওয়েইলির নাম এসেছিল। তবে এখনো চীনে নারীর ভূমিকার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকে। গত সেপ্টেম্বরে চীনে কোভিড-নাইনটিনে নারীদের ভূমিকাকে এক টেলিভিশন নাটকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছিল, তখন এটি ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। বলা হয়েছিল, এই নাটকে নারীর ভূমিকাকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, তা খুবই নারী-বিদ্বেষী। | চীনের চ্যাঙই-৫ চন্দ্র অভিযানে কাজ করছেন এমন এক নারী দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ২৪ বছর বয়সী ঝুও চেংইয়ু এই চন্দ্র অভিযান কর্মসূচির একজন 'স্পেস কমান্ডার'। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা। (ফাইল ফটো) তারা বলেছেন, মামুনুল হকসহ যারা রাজনীতির সাথে জড়িত, এমন নেতাদের নতুন কমিটিতে কোন পদে রাখা হচ্ছে না। দু'একদিনের মধ্যেই আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে, হেফাজতেরই অনেক নেতা বলেছেন, গত মার্চ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনায় সংগঠনটির নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান যখন চলছে, সেই পটভূমিতে সরকারের চাপে, নাকি সমঝোতার ভিত্তিতে রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হচ্ছে - এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে সংগঠনটির আমীর করে ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এর চার মাস পরই গত এপ্রিল মাসে সেই কমিটি বিলুপ্ত করে মি. বাবুনগরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় । এই আহবায়ক কমিটি এমন এক সময় গঠিত হয়েছিল, যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতে অনেক নেতাকে। সেই গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন আবার সংগঠনটির নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেছেন, তারা আহবায়ক কমিটির বদলে পূণাঙ্গ কমিটি গঠন করছেন। "আমরা এডহক কমিটির সদস্যরা পরামর্শ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা পুরোনো মুরব্বী এবং বড় বড় আলেম যারা আছেন, তাদেরকে নিয়ে এই কমিটি করা হবে," জানান মি. জেহাদী। গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা এবং হাটহাজারী এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেই ঘটনার মামলায় হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে। সংকট সামলাতে হেফাজতের নেতৃত্বকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করতে দেখা গেছে। সে সময়ই আকস্মিকভাবে যে আহবায়ক কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, তখনও সংগঠনটিকে রাজনীতির বাইরে রাখার কথাই বলা হয়েছিল। তা নিয়ে হেফাজতের অনেক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন। প্রয়াত আহমদ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের উত্থান হয়েছিলো হেফাজতের কর্মকাণ্ড ঘনিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করেন লেখক শরীফ মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, এখন রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে হেফাজতের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সরকারের সাথে যোগাযোগ এবং চাপের বিষয় অন্যতম কারণ হতে পারে। "কিছুদিন আগে যখন হেফাজতে ইসলামের কমিটি ভেঙে দেয়া হয় এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়, তখনই এটা বোঝা যাচ্ছিল য হেফাজত একটা ভাল চাপে আছে। এর আগেও গ্রেপ্তার ইত্যাদির পর যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে একাধিকবার হেফাজতের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের খবর আসছিল, তখনও এটা মনে হয়েছিল," বলে মন্তব্য করেন শরীফ মোহাম্মদ। তিনি আরও বলেন, "এখন যে হেফাজতের একটা কমিটি গঠনের কথা উঠেছে এবং সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দেয়া হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আগের যোগাযোগ, সরকারি চাপ, প্রত্যাশা এবং বাস্তবতা-এই সবগুলোকে সামনে নিয়েই হয়তো কিছু একটা হবে।" হেফাজত কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হলেও এর শুরু থেকেই কমিটিতে আমীর এবং মহাসচিব ছাড়া অন্য পদ এবং সদস্যদের বেশিরভাগই ছিলেন ইসলামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সময় হেফাজতের কর্মসূচির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছে। যদিও ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচির পর আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সে সময় আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের একটা সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। হেফাজত বলেছে, মার্চের সহিংসতার ঘটনায় অব্যাহত গ্রেপ্তার অভিযানে মামুনুল হক এবং আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ তাদের ৫০ জনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগের পেছনে সরকারের চাপ রয়েছে, এমন সন্দেহের কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের একাধিক নেতা। তারা বলছেন, মামুনুল হকসহ রাজনীতির সাথে জড়িতদের কমিটির পদে রাখা হচ্ছে না, এমন ধারণা তারা পাচ্ছেন। হেফাজতের নতুন কমিটি সর্বোচ্চ ৪০ সদস্যের হতে পারে। জুনায়েদ বাবুনগরীই আমীর এবং নুরুল ইসলাম জেহাদী মহাসচিব হচ্ছেন। অন্য পদগুলোতে এবং সদস্যদের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হেফাজতের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী দাবি করেছেন, তাদের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সরকারের কোন চাপ নেই। "সরকার এটার মধ্যে কোন ইন্টারফেয়ার করছে না। আমরাই হেফাজতে ইসলামের চরিত্র এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সমুন্নত রাখার জন্যই করছি।" মি: জেহাদী আরও বলেন, "হেফাজতে ইসলাম যখন গঠন করা হয়েছিল, তখন থেকেই এটা একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। এবং মূল দায়িত্বে অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিলেন, অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাই থাকবেন। এর মূল দায়িত্বে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি আসবে না।" একইসাথে তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে জড়িতরা পদে থাবেন না। কিন্তু সংগঠনে থাকবেন। তারা সংগঠন থেকে কাউকে বাদ দিচ্ছেন না। "রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড হেফাজতের প্রোগ্রামে থাকবে না।" তবে অরাজনৈতিক চরিত্র বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে ব্যাপারে মি: জেহাদী বলেছেন, "অরাজনৈতিক কর্মসূচি বলতে, যারা ইসলাম বিদ্বেষী বা ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে, মহানবী (সা:) এর বিরুদ্ধে লেখে বা কর্মকাণ্ড করে, তাদের প্রতিবাদের জন্যই এই সংগঠন। সেটাই থাকবে।" হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় এসেছিল ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে আহমদ শফীর মৃত্যুর পর তার ছোট ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে একটি অংশ হেফাজতের নেতৃত্বে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মেনে নিতে পারেননি। তাদের দিক থেকে এখন পাল্টা কমিটি করার হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে এই অংশের সাথে কোন আলোচনায় না গিয়ে নতুন কমিটিতে আহমদ শফীর বড় ছেলে মো: ইউসুফকে রাখা হতে পারে, হেফাজতের এখন নেতৃত্ব থেকে এমন ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। শরীফ মোহাম্মদ বলেছেন, সরকারের চাপ বা হেফাজতের অভ্যন্তরীণ সংকট রয়েছে, তবে কওমী মাদ্রাসাগুলো খোলার বিষয়টি বড় চাপ তৈরি করেছে। সেজন্য রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয় একটা কৌশল হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। "এখন কওমী মাদ্রাসার নতুন শিক্ষাবর্ষের সূচনা হয়েছে। অথচ মাদ্রাসাগুলো বন্ধ। তাদের অনেকে মনে করছেন যে সরকারের কঠোরতা হেফাজত কেন্দ্রিক, অথবা মাদ্রাসার ছাত্র ক্যাম্পাসে চলে আসলে কোন জটিলতা হতে পারে কিনা-এগুলো বিবেচনায় নিয়েও সরকার হেফাজতে ইসলাম এবং মাদ্রাসা খোলার ব্যাপারে নেতিবাচক কোন অবস্থানে থাকতে পারেন।" "এজন্য মাদ্রাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলগুলো-তারাও চাচ্ছেন, পরিস্থিতি যাতে এমন না হয় যে সরকারের সাথে দূরত্ব বা জটিলতা বৃদ্ধি পায় এবং শিক্ষাবর্ষ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্যে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা বিষয়ক চাপটাও একটা বড় চাপ এবং বাস্তবতা হিসাবে থাকতে পারে," বলে মনে করেন শরীফ মোহাম্মদ। তবে হেফাজত নেতা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেছেন, নতুন কমিটি হলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তাদের সংগঠনের কাজে গতি আসবে। এদিকে কয়েকদিন আগে হেফাজতের ৫০ জনের বেশি নেতার সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আরও পড়তে পারেন: | বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামকে এবার রাজনীতিমুক্ত করার কথা বলে জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বেই এর নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে সংগঠনটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় নারীদের এভাবেই একজন উদ্যোক্তার পথচলার চিত্রায়ণ করেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তাহমিনা শৈলী। মিজ. শৈলী বলেন আর্থ-সামাজিক স্বচ্ছলতা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে একজনের যাত্রাকে সহজ করে দেয়। তবে কোনো ধরনের সমর্থন ছাড়াও যে কেউ উদ্যোক্তা হতে পারেন। "একজনের অর্থনৈতিক-সামাজিক স্বচ্ছলতা না থাকতে পারে, কিন্তু যখন তার একটা বড় স্বপ্ন আছে, তিনিও সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সমান সম্ভাবনা রাখেন।" মিজ. শৈলী বলেন বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় একজনকে। প্রথমেই যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সেটি হলো প্রয়োজনীয় ও সঠিক ধারণা ও তথ্য পাওয়া। "আমি যখন শুরু করি তখন প্রধান সমস্যা ছিল প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য পাওয়া।" মিজ শৈলী জানান প্রথমদিকে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী, কর প্রদান, ব্যাংক লোন বা সরকারি সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা এমন নানা বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। আর এসব বিষয়ে নির্ভুল তথ্য পাওয়ার কোনো প্রতিষ্ঠান তখন যেমন ছিল না, এখনও নেই। তবে তাঁর মতে বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী উদ্যোক্তা রয়েছেন, যার ফলে নতুনরা আগের চেয়ে অনেক বেশী সহায়তা পেয়ে থাকেন। এছাড়া ইন্টানেট ও যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের কারণেও অনেক সহজ হয়েছে উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম। নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জটিল পদ্ধতিকে অন্যতম প্রধান সমস্যা বলে মনে করেন মিজ. শৈলী। "স্বাভাবিকভাবেই, শুরুতে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পূঁজি কম থাকে, তাই প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যাবসায়ীর চেয়ে ব্যাংক ঋণ পাওয়া তার পক্ষে অনেক বেশি কঠিন হয়।" মিজ. শৈলী মনে করেন ঋণ বা অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনেকসময় উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণার পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে পণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি প্রণয়ন ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান প্রদানের সহজ ব্যবস্থা তৈরী করার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। তাই উদ্যোক্তাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য এরকম দীর্ঘ ও জটিল পদ্ধতির ছোট ছোট, সহজ সমাধান তৈরী করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। নারীদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং? তাহমিনা শৈলী বলছেন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি ভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন। "একজন পুরুষের সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হলেও, বাংলাদেশে শুধু নারী বলে ভিন্ন আচরণের সম্মুখীন হতে হয় একজন উদ্যোক্তাকে।" মিজ. শৈলী বলেন নানারকম সুবিধা বা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই বৈষম্যের শিকার হন নারী উদ্যোক্তারা। তবে বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নারীরা আগের মত সমস্যার মুখোমুখি হননা বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, প্রতিষ্ঠিত বা অভিজ্ঞ নারী উদ্যোক্তারা নতুন নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করেন বলেই আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস পাচ্ছেন। মিজ. শৈলী বলেন, "আমাদের দেশে অভিভাবকরা সন্তানদের এমন বিষয়ে পড়ালেখা করাতে চান যেন তার ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যা আরো বেশি সত্য।" "তাই নারীরা উদ্যোক্তা হতে চাইলে অর্থনৈতিক-সামাজিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অনেক সময় পরিবারের দিক থেকেও বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।" এই মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন মিজ. শৈলী। "প্রতিষ্ঠিত বা পরীক্ষিত পথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। একজন উদ্যোক্তা তাঁর রাস্তা নিজে তৈরী করেন। এখানে ঝুঁকির সম্ভাবনা শতভাগ। তাই যারা এপথে হাঁটার সাহস করেন, তাদেরকে সবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেয়া উচিৎ" , বলেন তাহমিনা শৈলী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রোহিঙ্গারা এখনো কেন আসছে বাংলাদেশে? বাংলাদেশে চালু হচ্ছে মানবাধিকার হটলাইন প্রশ্নপত্র ফাঁস: কীভাবে ঠেকানো যাবে প্রযুক্তি দিয়ে? সুন্দরবনে বাঘ শুমারি: কিভাবে হয় ক্যামেরা ট্র্যাপিং? বহিস্কৃত স্কুল ছাত্রের গুলিতে নিহত ১৭ | "কত টাকা পূঁজি আছে বা কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে তা নয়, বরং একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় মূলধন তার নতুন কিছু করতে চাওয়ার ইচ্ছা।" |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | চাঁদাবাজীর অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের সাথে থাকা ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকে বলে বিভিন্ন সময় যে অভিযোগ ওঠে, এবারের পরিস্থিতি সেই ধারণা বা অভিযোগ প্রমাণ করেছে। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে পদ ছাড়তে হয়েছে, এটি ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকেই ভাবমূর্তির সংকটে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের প্রতি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথম চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ দু'জন নেতার পদ হারানোর ঘটনা সংগঠনটির দীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম ঘটলো। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠক হয় গত শনিবার। সেই বৈঠক থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ছাত্রলীগ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ বা কোন অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেবে না। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন,চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সরে যেতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকে ভাবমূর্তির সংকটে ফেলেছে। আরো পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতৃত্বের উপর প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ডাকসু ভিপি নূরুল হকের সাথে ছাত্রলীগের সমস্যা কোথায়? কোটা আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগের মহড়া, হামলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: আকতার বানু বলছিলেন, নেতৃত্বের এই অন্যায়ের জন্য ছাত্র সংগঠনটিকে নিয়েই সাধারণ ছাত্রদের মাঝে একটা খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে। "পুরো ঘটনাটি নি:সন্দেহে খুবই বিব্রতকর। কারণ এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো যে, ছাত্রনেতারা এইসব করছেন। যদি না করতেন, তাহলে এমন অভিযোগও আসতো না। তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটতো না।" "পাশাপাশি একটা ভাল দিকও আছে যে, প্রধানমন্ত্রী কারও কথায় কান না দিয়ে পরিস্থিতিটার লাগাম টেনে ধরার জন্য এমন একটা উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটা খুবই ইতিবাচক।" ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাবমূর্তি সংকট ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদেরও অনেকে মনে করেন, পুরো ঘটনাটি তাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। ছাত্রলীগের ঐ দু'জন নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। তবে তাদের সরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বড় অংকের চাঁদা দাবির অভিযোগকে। বিষয়টি আওয়ামী লীগকেই ভাবমূর্তির সংকটে ফেলেছে বলে দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন। তবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সিনিয়র মন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন, ভাবমূর্তি সংকটের বিষয়টি সাময়িক বলে তিনি মনে করেন। "সাময়িকভাবে হয়তো মানুষ বলবে যে ছাত্রলীগে আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে আমি মোটেই মনে করি না যে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। ছাত্রলীগ একটা আদর্শ সংগঠন হিসেবে সবসময় ভাবমূর্তি ধরে রেখেছে।" একইসাথে তিনি বলেছেন, "কিছু অনিয়ম হয়। তবে এবার এটা ব্যাপক পর্যায়ে গিয়েছে বলেই আমাদের দলের সভানেত্রী এবং আমরা সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" যুবলীগের কয়েকজন নেতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ড: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তাদের নেত্রী আরও দু'একটি সহযোগী সংগঠনের ব্যাপারেও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। "ছাত্রলীগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু এই বার্তাটা আমার জন্যও প্রযোজ্য এবং আমাদের দলের ও সহযোগী সংগঠনের সকলের জন্য অত্যন্ত জোরালো বার্তা।" "আরও দু'একটা সহযোগী সংগঠন সম্পর্কে উনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছেন যে, প্রচলিত আইনে সবাইকে দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদাবাজি করবে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াবে, আবার আমার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করবে, এটা হয় না। চাঁদাবাজি করে যদি সেই টাকা দিয়ে মিলাদ করে দোয়া করে, সেই দোয়ায় কি আমার দীর্ঘ জীবন হবে নাকি সর্বনাশ হবে। এই ধরণের কথাও কিন্তু কালকে উনি বলেছেন।" আওয়ামী লীগের অন্য একাধিক সূত্র বলছে যে, যুবলীগের ঢাকা নগরীর একাধিক নেতার ব্যাপারে দলীয় সিনিয়র নেতাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী অন্যদেরও কোন বার্তা দিলেন? আওয়ামী লীগ নেতা ড: আব্দুর রাজ্জাক যেমনটা বলছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী একটা বার্তা দিলেন। বিশ্লেষকরাও একই ধারণা করছেন। ৬০ এর দশকের মাঝামাঝি ডাকসু'র ভিপি ছিলেন অধ্যাপক মাহফুজা শফিক। তিনি পরিস্থিতিটাকে দেখছেন ভিন্নভাবে। তিনি মনে করেন, শুধু ছাত্রলীগ নয়, প্রধানমন্ত্রী সকলকে হুঁশিয়ার করে একটি বার্তা দিলেন। "আমি টেন্ডারবাজি বা মাদকের সাথে যুক্ত হতে পারি না। আমি কোন অন্যায় করতে পারি না। এই বার্তাটি প্রধানমন্ত্রী দিলেন ছাত্রলীগ, দল এবং এমপি, মন্ত্রী সবার প্রতি।" বিশ্লেষকদের অনেকে এটাও বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ এখন টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় রয়েছে। এই লম্বা সময় একটি দল ক্ষমতায় থাকার কারণে দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেকের লোভ বা স্বার্থের বিষয়গুলো সামনে আসছে। সেজন্য হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটা কঠোর অবস্থান তুলে ধরছেন। এদিকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত নেতারা বলেছেন, ভাবমূর্তি সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে তারা তাদের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: পোস্টমর্টেম: ময়না তদন্ত নাম কীভাবে এলো? যে দশ লক্ষণ দেখে বুঝবেন একটি দেশ গণতান্ত্রিক নয় দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কী তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কী তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে | বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের শীর্ষ দু'জন নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরিয়ে দেয়ার পর এ নিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট যাত্রা কিছুদিন আগে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মমিনুল হক বাদ পড়লে ভক্ত সমালোচকদের মধ্যে তুমুল বিতর্কের চাপে পরে তাকে দলে ফেরানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে এমনটা শোনা যায় না। মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে কেন এই অনাগ্রহ? ক্রিকেট বোর্ড, স্পন্সর এবং গণমাধ্যমগুলো থেকে পৃষ্ঠপোষকতাই বা কতটা পায় মেয়েদের ক্রিকেট দল? সকাল সাড়ে নয়টা। বাংলাদেশে এখন চলছে মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। তারই অংশ হিসেবে ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার। এদের কেউ কেউ ক্লাব পর্যায়ে নিয়মিত খেলেন। যেমন সুবর্না ইসলাম। আবাহনীর হয়ে খেলেন সুবর্ণা ইসলাম তিনি বলছিলেন, বছর জুড়ে মেয়েরা খুব অল্প ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়, যে কারণে ক্রিকেট খেলাকে এখনো পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী মেয়েদের সংখ্যা কম। "বছরে আমরা অল্প হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। প্রিমিয়িার লিগে কয়েকটি, আর ন্যাশনাল লিগে কয়েকটি ম্যাচ। আর জেলা পর্যায়ে তো কোন ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা পায়ই না মেয়েরা।" এই মূহুর্তে বাংলাদেশে প্রায় বারোশো' মেয়ে ক্রিকেট খেলছেন। এবং ক্রিকেট বোর্ড, স্পন্সর ও গণমাধ্যমগুলোর কাছ থেকে ছেলে ক্রিকেটারদের মত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের কথা অনেকের মুখে শোনা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলছিলেন, ছেলেরা যেখানে ন্যাশনাল লিগে ম্যাচ ফি পায় ৩৫ হাজার টাকা, একজন মেয়ে ক্রিকেটার পায় মাত্র ছয়শো টাকা। আবার বেতনের সময় জাতীয় দলে প্রথম সারির একজন পুরুষ খেলোয়াড় এখন তিন লাখ টাকা বেতন পায় মাসে। সেখানে একজন প্রথম সারির নারী ক্রিকেটারের বেতন ৩৫ হাজার টাকা। উদয় হাকিম, ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট যাত্রা। ২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু বাংলাদেশে ক্রিকেট যত জনপ্রিয়, ভক্তদের যত উন্মাদনার কথা শোনা যায়, সবই ছেলে ক্রিকেটারদের ঘিরে। কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, যারা নিয়মিত খেলা দেখেন, তাদের বেশিরভাগ বলছিলেন, তারা মেয়েদের খেলা দেখেন না। বড় কারণ টিভিতে দেখানো হয় না। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, স্পন্সর আর খেলা সম্প্রচারের জন্য গণমাধ্যমগুলোও ততটা তৎপর নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বড় স্পন্সর ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলছিলেন, স্পন্সর করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কতটা উঠে আসবে, সেটি একটি বড় বিবেচনা তাদের জন্য। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফায়েজ "আমরা দেখি কোন টুর্নামেন্টের স্পন্সর হলে, সেখান থেকে আমরা কতটা মাইলেজ পাব। শেষ বার আমরা মেয়েদের একটা টুর্নামেন্ট স্পন্সর করেছি, কিন্তু সেটা টিভিতে সম্প্রচার হয়নি। ফলে আমরা সেই প্রত্যাশিত ফল পাইনি।" বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট ম্যাচগুলো টেলিভিশন ও রেডিওগুলোতে সম্প্রচার করা হয় না। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভি ২০১৪ সালে ছয় বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবগুলো হোম সিরিজের সম্প্রচার সত্ত্ব কিনে নেয়, সেগুলো কেবল ছেলেদের ম্যাচ। যদিও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফায়েজ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তিনবার তারা মেয়েদের ক্রিকেট ম্যাচ সম্প্রচার করেছেন। "আমাদের আগ্রহ আছে, কিন্তু দর্শক তো প্রস্তুত না।" বিসিবির নারী উইং এর চেয়ারম্যান এমএ আওয়াল চৌধুরি কিন্তু মেয়েদের খেলার মান, তাদের খেলাকে আকর্ষনীয় করে তোলা এবং বিনিয়োগ উঠিয়ে আনা—অর্থাৎ যেসব বিষয়ে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে, তার পেছনে ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি'র কি ভূমিকা রয়েছে? পারিশ্রমিকে বৈষম্যের ব্যপারেই বা কি কর্তৃপক্ষ? বিসিবির নারী উইং এর চেয়ারম্যান এমএ আওয়াল চৌধুরি "আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। তাদের ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং আরো তৃনমূল থেকে খেলোয়াড় খুঁজে আনার বিভিন্ন পরিকল্পনা আমাদের আছে।" "আর তাদের পারিশ্রমিকও বাড়ানো হবে।" তবে, এই পরিস্থিতিতেও আশাবাদী মিডিয়াম ফাস্ট বোলার এবং ব্যাটসম্যান জাহানারা আলম, যিনি এই মূহুর্তে মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কও। তিনি বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাদের খেলার উদ্দীপনা বাড়বে। জাহানারা আলম, মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক "ধরেন, একটা ম্যাচে আমি শূণ্য রানে আউট হলাম, আমাকে এখন বড়জোড় বোর্ডের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু সেই ম্যাচ যদি টিভি দেখায়, তাহলে আমাকে লক্ষ কোটি দর্শর্কের কাছে জবাবদিহি করতে হয় নিশব্দে। ফলে সেটা ভালো খেলারও প্রেরণা দেয়।" কর্তৃপক্ষ এবং যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ছেলেদের ক্রিকেটকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবার জন্য অবদান রেখেছেন, তারা একইভাবে মেয়েদের ক্রিকেটকেও জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখবেন, এই আশা মিজ আলমের। | বাংলাদেশে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। বাংলাদেশে ছেলেদের ক্রিকেটের যে কোন ম্যাচের একটি টিকেট পেতে ক্রিকেট-ভক্তদের সারারাত লাইনে দাড়িয়ে থাকার মত ঘটনা শোনা যায়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর অনেক গুলো আফটার শক অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল এলাজিগ প্রদেশের সিভরিস শহরে। ভূম্পিকম্পের কারণে ভবন ধসে পড়ে, যার কারণে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও। তুরস্ক প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্য ০৮:৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ভূম্পিকম্প আঘাত হানার পর ৬০টি আফটার শক বা পরাঘাত অনুভূত হয়। এটি জানায়, প্রায় ৪০০ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, যাদের সাথে বাস্তুচ্যুতদের জন্য বিছানা এবং তাঁবু রয়েছে। আফটার শকের কারণে বাসিন্দাদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাজিগের গভর্নর জানান তার প্রদেশে আট জন মারা গেছেন। একইসাথে পার্শ্ববর্তী মালাতিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছে যে সেখানে ছয় জন মারা গেছেন। টেলিভিশনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় যে, ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জরুরী সেবাদানকর্মীরা। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে সুনামি হওয়ার কতটা ঝুঁকি আছে? ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা ভূমিকম্প মোকাবেলা: প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ফারাক ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো ধ্বসে পড়ে। "এটা খুবই ভয়ংকর ছিল- আসবাবপত্র আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি," সংবাদ সংস্থা এএফপি ৪৭ বছর বয়সী এলাজিগ শহরের বাসিন্দা মেলাহাত কানের উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে একথা বলে। ভূমিকম্পটি যে এলাকায় আঘাত হেনেছে তা রাজধানী আঙ্কারা থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দুর্গম এবং জনবিরল এলাকা হওয়ার কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে সময় লাগতে পারে। ওই এলাকায় রাতের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে শূন্য ডিগ্রির নিচে নামায় সেখানে বিছানা, তাঁবু এবং কম্বল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইগ্রিস নদীর উৎপত্তিস্থল হাজার লেকের পাড়ে অবস্থিত সিভরিস একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যেখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বাস করে। | তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরো এক হাজার মানুষ। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | তেল আবিবের কাছে ইয়েহুদে একটি বিধ্বস্ত বাড়ি পরিদর্শন করছে ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা এদিকে লোড শহরে ইসরায়েলি আরবদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ইসরায়েলি ওই শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গাযার ১৩ তলা ভবনটির ওপর হামলার দেড় ঘণ্টা আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এর আগের রকেট হামলার জবাব দিতে তারা গাযায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা করছে। এই বছরের সবচেয়ে বড় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। জেরুজালেমে কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার রেশ ধরে এই সহিংসতার শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেম এবং অন্যান্য এলাকা লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করে। ইসরায়েলে চালানো হামলায় অন্তত তিনজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস "রেড লাইন অতিক্রম করে ফেলেছে" এবং ইসরায়েল "শক্তভাবে" এর জবাব দিয়েছে। গত কয়েক দিনে জেরুজালেমে যে সহিংসতা হচ্ছে, সেটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। গাযার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাস বলছে, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি 'আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের' জবাব দিতেই ওই হামলা করা হয়েছে। আল-আকসা মসজিদ এলাকাটি মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী - উভয়ের কাছেই পবিত্র স্থান। সোমবার সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়। ২০১৭ সালের পর গত কয়েকদিন ধরে জেরুজালেমে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হচ্ছে। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এমন হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। শহরের আরব বাসিন্দাদের এলাকায় গত এক মাস ধরেই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে রয়েছে। আরও পড়ুন: জেরুজালেমে কেন প্রার্থনার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে গাযায় বিমান হামলায় নিহত ২০, উত্তেজনা কমাতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান দক্ষিণ গাযা উপত্যাকা রাফা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায় সর্বশেষ হামলা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে হামাস বলছে, 'শত্রুরা আবাসিক এলাকায় হামলা করার পাল্টা জবাব দিতে' তারা তেল আবিব এবং এর আশেপাশের এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করেছে। তেল আবিব থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে রাতের আকাশে রকেটের ঝলকানি দেখা গেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মিসাইলের আঘাতে এসব রকেটের বেশ কিছু আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে। তেল আবিবের কাছে রিশন লেযিওন শহরে ৫০ বছর বয়সী একজন নারী নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হোলন শহরতলীতে একটি খালি বাসে রকেট বিস্ফোরিত হয়েছে। সেখানে একটি শিশু এবং দুইজন নারী আহত হয়েছেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিবে পথচারীরা দ্রুত আশ্রয় খুঁজে নেয় এবং রেস্তোরাগুলোয় রাতের খাবারের আয়োজন বাতিল হয়ে যায়। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে লম্বা সময়ের জন্য সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ইলাত এবং আশকেলন শহরের মধ্যে জ্বালানী সরবরাহের একটি পাইপলাইনেও রকেট হামলা করা হয়েছে। গাযার বহুতল হানাদি টাওয়ার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেয়ার পর এসব রকেট হামলা চালানো হয়। ওই ভবনটিতে হামাসের একটি কার্যালয় ছিল, যা তাদের রাজনৈতিক নেতারা ব্যবহার করতেন। তবে ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, সেখানে আরেকটি বহুতল ভবনও ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যদিও হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার 'মাত্র শুরু এখন।'' ''সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোয় কড়া আঘাত করা হচ্ছে এবং এ রকম আঘাত চলবে, কারণ তারা ইসরায়েলে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদের জন্য শান্তি এবং নীরবতা ফিরিয়ে আনব।'' হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ বলেছেন, ইসরায়েল যদি (সহিংসতা) আরও বাড়াতে চায়, তাহলে জবাব দেওয়ার জন্য তারাও প্রস্তুত রয়েছে। ''যদি (ইসরায়েল) আরও বাড়াতে চায়, আমরা সেজন্য প্রস্তুত রয়েছি আর তারা যদি বন্ধ করতে চায়, আমরা সেজন্যও প্রস্তুত আছি,'' বলেন তিনি। এই সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার একান্ত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এ রকম হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে সহিংসতার পেছনের কারণ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো শহরকে তারা নিজেদের রাজধানী বলে মনে করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ তাতে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পূর্ব জেরুজালেম হবে তাদের স্বাধীন দেশের রাজধানী। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছে যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয় এবং ''বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়''। জোর করে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে আরব লীগ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি থাকবে ঈদের দিনেও চীনা রকেটের পৃথিবীতে পড়া নিয়ে কেন এত তোলপাড় সাজাভোগের মধ্যেই যেভাবে বিদেশে গিয়েছিলেন আ স ম রব | গাযা ভূখন্ডের একটি বহুতল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তেল আবিবে অন্তত ১৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনিরা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাটলার এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এভাবে আউট হলেন স্পিনার আশউইন খেয়াল করেন ইংল্যান্ডের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বাটলার তার বল ছাড়ার আগে বোলিং প্রান্তের ক্রিজ ছেড়ে বের হন। তখন আশউইন বেল ফেলে দেন এবং আপিল করেন আম্পায়ারের কাছে। এই সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ার দেন এবং সেটা বাটলারের বিপক্ষে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল- আইসিসি, এমন আউট হবার পর তাদের টুইটার পেজে একটি প্রশ্ন রাখে। বাটলারকে মানকড় আউট করার ক্ষেত্রে কি সঠিক কাজ করেন আশউইন? সেখানে ৭২ শতাংশ বলেন 'না'। আরো পড়ুন: ক্রিকেটারদের মানসিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ বাফুফে কর্মকর্তা কিরণকে গ্রেফতারে ফিফার উদ্বেগ ৮০৭ রান, ৪৬ ছক্কা: বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ম্যাচ আর কয়টি আছে? আইসিসির অনলাইন জরিপে ৭২ শতাংশ ভোট পড়ে আশউইনের বিপক্ষে তবে এর আগেও বাটলার একই উপায়ে আউট হন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালে একটি ওয়ানডে ম্যাচে সাচিত্রা সেনানায়েকে বাটলারকে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে আউট করেন। কে কী বলছে? আইপিএলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির পর সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করেন এই আউট নিয়ে। শেন ওয়ার্ন, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী লেগ স্পিনার লেখেন, অধিনায়ক হিসেবে ও মানুষ হিসেবে আশউইনের এমন কাজ হতাশাজনক। "সব অধিনায়কই আইপিএলের দেয়ালে সই করেন এবং খেলার স্পিরিট ধরে রাখার ব্যাপারে সম্মত হন," ওয়ার্নের মতে এমন কাজ ক্রিকেটের নীতির বিরুদ্ধে। টুইটারে আশউইনের সমালোচনা করেন শেন ওয়ার্ন টুইটারে আশউইনের সমালোচনা করেন ডেল স্টেইন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হারশা ভোগলে অবশ্য নিয়মের কথা বলেন, "এই নিয়মটি খেলার স্পিরিট ধরে রাখার জন্যই তৈরি হয়েছিল, যখন একজন ব্যাটসম্যান তার রান পূরণ করতে ছয় ইঞ্চি কম দৌঁড়ায়।" নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস অবশ্য থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, "এটা বাটলারের বা আশউইনের দোষ না, আশউইনের আপিল করাই যথার্থ ছিল, এটা থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যেটা হওয়ার কথা ছিল ডেড বল।" ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান বলেন, "আশউইন এটা নিয়ে অনুতাপে ভুগবেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা যা দেখছি, শিশুদের জন্য বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে এটা।" হারশা ভোগলে এই বিতর্কে আশউইনের পক্ষ নেন আইন কী বলে? ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন করার কমিটি মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব বা এমসিসি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই আইন প্রনয়ণ করে যে নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান যদি বল ছাড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে দেয় সেক্ষেত্রে বোলার বেল ফেলে আউট করতে পারেন। আগের আইনে ছিল, বোলার কেবলমাত্র বোলিং করার আগ মুহূর্তে এভাবে রান আউট করার চেষ্টা করতে পারবেন, কিন্তু এখন যে বোলিংয়ের যে কোনো সময় এটা করা যাবে। নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান যাতে আগেই ক্রিজ না ছাড়ে সেজন্যই এই আইন করা হয়। "এমনভাবে রান আউট করার চেষ্টা করলে যদিও বোলার সমালোচিত হন, তবু ব্যাটসম্যান এই ক্ষেত্রে একটা সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালায়," এমসিসি। গতকালের ম্যাচে খেলা শুরুর আগে আশউইন ও রাহানে মানকড় নাম যেভাবে এলো ১৯৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর, ইন্ডিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিডনি টেস্টে ভিনু মানকড় বিল ব্রাউনকে রান আউট করেন বোলিং করার সময়। তিনি শেষ পর্যন্ত বল ছাড়েননি এবং বেল ফেলে দেন, যার ফলে ব্রাউন আউট হন। এই সফরে ব্রাউন দুইবার এইভাবে আউট হন। ব্রাউনকে আউট করার আগে অবশ্য সতর্ক করেন মানকড়। সেসময় অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমে ভিনু মানকড়ের সমালোচনা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এভাবে কেউ আউট হলে সেটাকে 'মানকড়' বলা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে কি পড়ানো হচ্ছে শ্রেণী কক্ষে নির্ভয়া ধর্ষণ: আলোচনার বাইরেই রয়ে গেলেন যে নারী মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরি হয় জীবনভর | ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ- আইপিএলে সোমবার রাতের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের রাভিচান্দ্রান আশউইন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে বিশেষ একটি উপায়ে আউট করেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ব্রুকলিনের রাস্তায় মুসলমান নারী। মামলার বাদী তিনজন তরুণী অভিযোগ করেছিলেন যে নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা সবার সামনে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিলেন এবং ছবি তুলেছিলেন। মামলাটির শুরু ২০১২ সালের। এক তরুণীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে। ব্রুকলিন পুলিশ প্রিসিংক্টে জনসমক্ষে তাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয় এবং ছবি তোলা হয়। ঐ নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হিজাব খোলার ব্যাপারে একই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং এতদিন ধরে মামলাটি চলছিল। অবশ্য এরই মাঝে ২০১৫ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ থেকে কর্মকর্তাদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে ধর্মীয় প্রয়োজনে যারা মাথা ঢেকে রাখেন, সেটা খুলে ফেলার ব্যাপারে নিয়মাবলী জারি করা হয়। এই মামলার বাদী পক্ষের উকিল তাহানি আবুশি বিবিসিকে বলেন, মামলাটি শুধু মুসলমানদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, অন্য যেসব ধর্মে মাথা ঢেকে রাখার রেওয়াজ আছে, তাদের জন্য এই মামলার রায় তাৎপর্যপূর্ণ। আরো দেখুন: শ্রীদেবীর শব গ্রহণকারী কে এই আশরাফ থামারাসারি? বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিবিসি বাংলার দু'টি রেডিও অনুষ্ঠান মালিতে মাইন বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত ১লা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্ক পুলিশের দুই নারী অফিসার। | জোর করে হিজাব খুলে ফেলার এক মামলায় নিউইয়র্ক শহরের কর্তৃপক্ষ তিনজন মহিলার সাথে এক আইনি সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং তাদের প্রত্যেককে ৬০,০০০ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে দগ্ধ অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকালে ফেনীর একটি মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ ঐ ছাত্রীকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঐ ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দিতে ওই কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে সকালে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে প্রবেশের আগে তাকে কয়েকজন মুখোশ পরা মেয়ে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে বলা হয় যে তার এক বান্ধবীকে ছাদে পেটানো হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ ওই মেয়েরাই. মিথ্যা বলে, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ছাত্রীটির ভাই বিবিসিকে বলেন, তার বোন কয়েকদিন আগে তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল, সেই ঘটনার জেরে ওই অধ্যক্ষের পক্ষের শিক্ষার্থীরা তার বোনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ২৭শে মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার বোনকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করে ছাত্রীটির পরিবার। পরে পুলিশ ওই মামলার জেরে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়। এই ঘটনার পর পর মাদ্রাসায় ওই শিক্ষকের পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে আন্দোলন করতে শুরু করে। আহত ছাত্রীর ভাইয়ের দাবি, সেই শিক্ষকের পক্ষে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা তার বোনকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিল। "আগুন লাগার পর সে আমাকে জানিয়েছে যে ওই মেয়েরা মামলা তুলে নিতে বলেছিল, মামলা তুলে নেবে না জানালে তারা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।" তিনি বলেন, "আজ সকালে আমার বোনের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। এজন্য আমি তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাই।" আরও পড়তে পারেন: যে নারী স্বামীর গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ফ্যাশন শোতে মডেল হলেন এ্যাসিড দগ্ধ নারী-পুরুষ কেন সরানো যায়নি পুরোনো ঢাকার কেমিক্যালের গুদাম? "আমি ওকে হলের ভেতরে বসিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মাদ্রাসার অফিস সহকারী আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয় নাই।" "এজন্য আমি তাকে কেন্দ্রের ভেতরে দিয়েই চলে আসি। আমি ভেতরে থাকলে আজ আমার বোনের সাথে এমন কিছু হতো না।" প্রথমে দগ্ধ অবস্থায় আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাঠানো হয় ২৫০ শয্যার ফেনী সদর হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান তার শরীরের ৭০% থেকে ৮০% পুড়ে গেছে। এমন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। মেয়েটি বর্তমানে সেখানেই ভর্তি আছে। ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়। ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোঃ আবু তাহের জানান, মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে, সে খবর পেয়ে তারা সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। কিন্তু মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিকে চিকিৎসকের সামনে পুলিশের জবানবন্দিতে মেয়েটি জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে তাকে কয়েকটি মুখোশ পরা মেয়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বলে, তাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে সেই মেয়েদের কোন পরিচয় তিনি শনাক্ত করতে পারেননি। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনার ব্যাপারে এখন পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কেউ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সোনাগাজি থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমরা এই ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। আমরা ভিক্টিমের পরিবার, মাদ্রাসার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।" প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে, "মেয়েটা তার পরীক্ষার হল থেকে পাশের সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে যায়। যখন আগুন লাগে তখন আশেপাশের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। "ওইসময় কাউকে ছাদ থেকে নামতে দেখা যায়নি। শুধু ওই মেয়েকে দেখা গেছে" পুলিশ বলছে, এটি হত্যাচেষ্টা নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা তাছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে ওই অধ্যক্ষের গ্রেফতারের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তার সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার বিষয়ে ওই মাদ্রাসার কোন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন না। তাদের কয়েকজনের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। আরো পড়তে পারেন: পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' ৩ রোহিঙ্গা নিহত যে পোস্টারটি পাকিস্তানে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে 'চিনির কোমল পানীয় ডেকে আনতে পারে আগাম মৃত্যু' | ফেনীর সোনাগাজীতে একটি মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে এক শিক্ষার্থীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশে সড়কে চরম বিশৃঙ্খলার জন্য বহু দুর্ঘটনা ঘটে। ফেরার সময় হঠাৎ উল্টো পথে আসা একটি কোমল পানীয় কোম্পানির পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি ধাক্কা দেয় তাকে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ১৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ১৬ বছর পর আদালত থেকে ক্ষতিপূরণের আদেশ পেয়েছিলেন তার স্ত্রী রওশন আক্তার। কিন্তু নানা জটিলতায় তার একটি টাকাও এখনো পাননি। তিনি বলছেন, "টাকাটা আদায় করার জন্য আমাকে পুনরায় লোয়ার কোর্টে মামলা করতে হয়েছে। সেটাও তিন বছর হয়ে গেছে। সেখানে ঐ কোম্পানির প্লট বিক্রি করে টাকা দেওয়ার কথা। সেটা নিলামের জন্য ক্রোক হয়েছে। কিন্তু নিলামে কেউ যায়না কারণ ওটা ব্যাংকে মর্টগেজ দেওয়া।" তিনি বলছেন, কেউ নিলামে আসছে না দেখে নিজ খরচে পত্রিকায় নিলামের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাতেও কোন লাভ হয়নি। এই রায়টি ছিল বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের আদেশ পাওয়া প্রথম কোন রায়। ৭০ এর কোঠায় এখন বয়স এই নারীর। দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে তার দুই বছর পর নিম্ন আদালতে মামলা, সেই মামলার রায়, তার বিপক্ষে বিবাদী পক্ষের উচ্চ আদালতে আপীল, তারপর লিভ টু আপীল এরকম নানা আইনি জটিলতায় তিনি তিরিশ বছর পার করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলছেন, "আইনের শাসন কোথায়? যখন আমার লাশ যাবে কবরে তখন হয়ত সেই টাকাটা আমার (ছেলেরা) পেলেও পেতে পারে।" সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা ক্ষতিপূরণ মামলা বিষয়ে কাজ করেন। তিনি বলছেন বাংলাদেশে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হল ব্রিটিশ আমলের টর্ট আইন। তাতে যেকোনো ধরনের ঘটনায় ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যায়। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রয়েছে ২০১৮ সালে সংশোধনীর পর সড়ক নিরাপত্তা আইন। তিনি বলছেন, কোন মামলার রায়ের পর ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় কিভাবে হবে সেনিয়ে বাংলাদেশে পদ্ধতিগত জটিলতা রয়েছে। আরো পড়ুন: রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা দিল গ্রিন লাইন রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা দিল গ্রিন লাইন বাংলাদেশে সড়কে শৃঙ্খলা: সমাধান সূত্র আছে যেখানে 'সরকার মালিক-শ্রমিক সংগঠনকে ভয় পায়' তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলছিলেন, "ধরুন আপনি ক্ষতিপূরণ চাইলেন। আদালত আপনাকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিলো। সেই টাকা তুলতে গেলে আপনাকে আবার একটা এক্সিকিউশন কেস করতে হবে।" "সেখানে গিয়ে বলতে হবে এই রায় হয়েছে এই টাকাটা আমাকে দেয়া হোক। তখন সেই কেসে কোর্ট আবার বিবাদীকে ডেকে বলবে। তারা যদি টাকা না দেয় তাহলে পুলিশের মাধ্যমে আদায় করা হবে। তাকে নতুন করে আবার সময় সাপেক্ষ একটি আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হচ্ছে।" তিনি আরও বলছেন, "বাস্তবতা হল বিবাদী যদি হাই প্রোফাইল হয়ে থাকে তাহলে ত্রিশ বছর কেন, কোন টাকা না দিয়ে বাংলাদেশে পঞ্চাশ বছরও কাটিয়ে দিতে পারে।" বাংলাদেশে কাছাকাছি সময়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক মনোযোগের কারণে কয়েকটি খুব মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রায় সাথেই সাথেই ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শুরু যে দুর্ঘটনায় তাতে নিহত দুই কলেজ ছাত্রের পরিবারকে দেয়া ক্ষতিপূরণ এর একটি। দুটি বাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা-কবলিত এক কলেজ ছাত্রের ঝুলে থাকা বিচ্ছিন্ন হাতের ছবি ব্যাপক প্রচার হওয়ার পরও দ্রুতই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেয়া হয়েছিলো। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় দু একটি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পেলেও আদায় করতে পার হয়ে যায় বছরের পর বছর। এই দুটি নমুনার বাইরে একই রকম আলোচিত ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেয়ার নমুনা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলছে গত বছর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় সাড়ে সাত হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে। আহত হয়েছে ১৬ হাজারের মতো। এরকম অসংখ্য ঘটনায় ক্ষতিপূরণের কোন নজির নেই। দুর্ঘটনার শিকার হলে গাড়ি আটকে বাস মালিকদের সাথে দেন-দরবার করে মাঝে মধ্যে কিছু টাকা পাওয়ার ঘটনা থাকলেও পরিবহন খাতের সাথে জড়িতরা বিশেষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তারা খুব সহজে পার পেয়ে যায় বলে মনে করছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলছেন, "পরিবহন পরিচালনার সাথে যারা জড়িত তারা কিন্তু অনেক শক্তিশালী। যেসব দল ক্ষমতায় থাকে, যখন যারাই থাকে তাদের সাথে তাদের একটা দহরম মহরম থাকে। এই সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে তারা এই সেক্টরে একটা প্রভাব বিস্তার করে। সেই কারণে একজন বিচ্ছিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীর পক্ষে তাদের কাছ থেকে নেগোসিয়েশন করে আইনের সমান সুযোগ পাওয়া বা যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব হয়না।" নতুন মামলায় না গিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায়ের একটি আইনি কাঠামোর প্রয়োজনের কথা বলছিলেন তিনি। এরকম কোন কাঠামোর অভাবেই তৈরি হচ্ছে রওশন আক্তারের মতো ভুক্তভোগী। দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর সময় থেকে পাঁচ ও নয় বছরের দুই ছেলেকে বড় করেছেন আর সরকারি কলেজের শিক্ষকের বেতন দিয়ে মামলা পরিচালনা করছেন। তিনি বলছিলেন তার জীবন পার হয়ে গেছে এই এক মামলায়। কিন্তু এখন সেই কোম্পানিটিই আর নেই। ক্ষতিপূরণ আদায়ে আরও নতুন সব জটিলতায় শেষ হচ্ছে তার বাকি জীবন। অন্যান্য খবর: 'কিছু ওয়াজে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে' লোকসভা নির্বাচন: শুরু হলো বিশ্বের বৃহত্তম ভোট উৎসব কেন লিবিয়ায় এত অরাজকতা, নৈরাজ্য? | ১৯৮৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর। রাজধানীর শান্তিনগরে বাড়ির সামনেই রাস্তা পার হয়ে দোকানে গিয়েছিলেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সেই সময়কার বার্তা সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মন্টু। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ছেলে ইয়াইর নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে ইয়াইর নেতানিয়াহুর একটি পোস্ট মুছে দিয়েছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ - যেখানে তিনি "একজন ফিলিস্তিনির হাতে দু'জন ইসরায়েলী সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার" আহবান জানিয়েছিলেন। ফেসবুক পোস্টে ২৭ বছর বয়সী এই যুবক আরো লিখেছিলেন, "তিনি চান ইসরায়েলী ভূখণ্ড থেকে সব মুসলিমরা চলে যাক।" ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার এই পোস্টটিকেও সরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার পর ইয়াইর নেতানিয়াহু ফেসবুককে "চিন্তার পুলিশ" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ফেসবুকের অভিযোগ হলো, তিনি এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে "ঘৃণামূলক বক্তব্য" দিচ্ছেন। গত বছরেও তার তীব্র সমালোচনা হয়েছিল যখন তিনি তার পিতার কয়েকজন সমালোচককে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ধনকুবের জর্জ সোরোস। শুধু তাই নয়, একবার তার কুকুরের মল না তুলে নেওয়ার কারণেও তিনি জনগণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ফেসবুক ২৪ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ করে দেওয়ার পর রোববার তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগের আরেক মাধ্যম টুইটারে। সেখানে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছিলেন, "অবিশ্বাস্য।" তার সেই টুইটে যোগ করা হয়েছিল মুছে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি স্ক্রিনশট। সেখানে তার পোস্ট মুছে দেওয়ার জন্যে ফেসবুকের সমালোচনাও করেছেন তিনি। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, "মানুষের রূপ ধরে যেসব পিশাচ আছেন তাদের সাথে কখনো শান্তি হবে না। তারা তাদের নিজেদেরকে 'ফিলিস্তিনি' বলে থাকে।" "ফেসবুকের চিন্তা পুলিশরা এখন আমার কাছেও পৌঁছে গেছে," ফেসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন মি. নেতানিয়াহু। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা। আরো পড়তে পারেন: ঐক্যফ্রন্ট ইশতেহারকে 'ফাঁকা বুলি' বলছেন বিশ্লেষক ঐক্যফ্রন্টের অঙ্গীকার দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় জলবায়ু পরিবর্তনে যেভাবে ভূমিকা রাখছে সিমেন্ট পাবনায় কুমির উদ্ধারে শুরু হয়েছে তৎপরতা "ফেসবুকে হামাস, হেযবোল্লাহ এবং ইরান সরকারের অফিসিয়াল পেজ আছে। সেখানে অসংখ্য পেজ আছে যাতে ইসরায়েলকে ধ্বংস করা এবং ইহুদিদেরকে হত্যা করার আহবান জানানো হচ্ছে।" তিনি আরো লিখেছেন, "চরম বামপন্থী হাজার হাজার সহিংস পোস্ট আছে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে। এমনকি তারা আমাকে খুন করারও হুমকি দিচ্ছে।"তারপর তিনি বলেন, "এসব ফেসবুকের কমিউনিটি রুলকে লঙ্ঘন করে না।" ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মি. নেতানিয়াহু "বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন যেগুলোতে ঘৃণামূলক বক্তব্য রয়েছে," যা তাদের কমিউনিটি রুলকে ভঙ্গ করছে। "এসব কারণে আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে এই পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ এধরনের পোস্ট দিলে আমরা একই কাজ করে থাকি।" ফেসবুকের মুখপাত্র বলেছেন, "তারপর ইয়াইর নেতানিয়াহু তার মুছে দেওয়া পোস্টটির স্ক্রিনশট দিয়ে লোকজনকে তা শেয়ার করার আহবান জানিয়েছেন। সেটাও তার ঘৃণাসূচক বক্তব্য দেওয়ার মতোই ঘটনা।" | ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক ছেলে বলেছেন, ফিলিস্তিনি ও মুসলিমবিরোধী কিছু পোস্ট দেওয়ার পর ফেসবুক তার অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘণ্টার জন্যে ব্লক করে দিয়েছিল। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ঢাকায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সমাবেশ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার বলছে, এরা সবাই গুম হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সবার সাথে বার বার করে কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে বাংলাদেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলো তাদের সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ধানমন্ডির নাসরিন আক্তার কথা বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন। ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে নিখোঁজ বড় ছেলের একটি ছবি হাতে এসেছিলেন তিনি। নাসরিন আক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ২০১৭ সালে অগাস্ট মাসে তার ছেলে ইসরাক আহমেদ ক্যানাডা থেকে দেশে আসেন ঈদ করতে। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন ইসরাক। ছেলের ছবি হাতে নাসরিন আক্তার। কিন্তু যেদিন বাংলাদেশ থেকে তার ক্যানাডায় ফিরে যাওয়ার কথা, সেদিনই তিনি নিখোঁজ হন, বলছিলেন নাসরিন জাহান। তিনি বলছিলেন, "ছেলে বললো মা আজ শেষ দিন বন্ধুদের সাথে বাইরে রেস্টুরেন্টে দেখা করবো। রাত আটটা নাগাদ বাসায় না ফিরলে তাকে আমি ফোন করি। তার বাবাকে দিয়েও ফোন করাই। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাই। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাইনি আমরা।" ঘটনার সময় ২০১৩, ২রা ডিসেম্বর। স্থান ঢাকার শাহবাগ। রেশমা নামে এক ব্যক্তি বলছিলেন, তার স্বামী মো. চঞ্চলসহ চারজন নিখোঁজ হন ঢাকার শাহবাগ মোড় থেকে। তিনি জানান, সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তিরা এই চারজনকে তুলে নিয়ে যায়, যেটা দেখেন সেখানে থাকা তাদের আরো দুই বন্ধু। তিনি বলছিলেন, "এই যে সে নাই, বা থাকলে কোথায় আছে সেটা আমি জানি না। আমার বাচ্চা তার বাবাকে খোঁজে। যখন তার বয়স দুই বছর তখন আমার স্বামী নিখোঁজ হয়।" "আমি বলি 'তোমার বাবা বিদেশে'। আমরা ছবি হাতে মানববন্ধন করি। বাচ্চাকে তো উত্তর দিতে পারি না।" তিনি বলছিলেন, "যদি জানতাম আমার স্বামী মারা গেছে বা কোথায় দাফন করা হয়েছে তাহলে তো সেখানে যেয়ে জিয়ারত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি না। শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষা।" রেশমার সন্তান এখনও বাবাকে খোঁজে। আরো পড়তে পারেন: নিখোঁজ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের সবই থাকে অজানা র্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের দাবি নাকচ খোদ ইন্টারপোলের প্রধানই কেন গুম হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে শুক্রবার বাংলাদেশে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় একত্রিত হন 'মায়ের ডাক' নামে এক সংগঠনের ব্যানারে। সংগঠনটি বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫৩৮ জন গুম হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জন অনেক দিন পর ফিরে এসেছে। আটষট্টি জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং ১৭০জন এখনো নিখোঁজ। মায়ের ডাকের আয়োজক সানজিদা ইসলাম বলছিলেন, গুম করার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে। "এবং এর শিকার হয়েছেন বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা," বলছিলেন তিনি। দু'হাজার তের সালের ৪ঠা ডিসেম্বর আরো একজন নিখোঁজ হন। তার নাম সাজেদুল ইসলাম সুমন। তিনি ঢাকা ২৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বোন মারুফা ইসলাম বলছিলেন, প্রশাসনের এমন কোন স্তর নেই যেখানে তারা যোগাযোগ করেন নি। কিন্তু আজ প্রায় ছয় বছর হতে চললেও তার কোন খবর নেই। ভাইয়ের আশায় এখনও অপেক্ষা করছেন মারুফা ইসলাম। শুক্রবার যেসব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হন তারা বলছেন, নিখোঁজদের কারো কারো হয়তো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল। কিন্তু গুমের তালিকায় অনেকেই রয়েছেন রাজনৈতিক পরিচয়ের একেবারে বাইরে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: কাশ্মীর পরিস্থিতি: 'আমাদের পেটাবেন না, গুলি করুন' টাক পড়ার লজ্জা জয় করেছেন যে নারী ব্রেক্সিট নিয়ে বিপাকে ব্রিটেনের বরিস জনসন | বাংলাদেশে গত দশ বছরে নিখোঁজ হওয়া মানুষের মধ্যে ১৭০ জনের এখানো কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সৈয়দ সাদাত আহমেদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুলিশ বলছে, মিঃ আহমেদ ২০১৫ সালে করা একটি মামলার আসামি, সে কারণে তাকে 'গ্রেপ্তার' করা হয়েছে। তবে, মিঃ আহমেদের স্ত্রী লুনা সাদাত আহমেদ দাবী করেছেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, গত রাতে রামপুরা সেতুর পূর্ব পাশে খুঁজে পাওয়া গেছে মিঃ আহমেদকে। বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ ১৫ জন মানুষ নিখোঁজ হন। গত কয়েকদিনের মধ্যে নিখোঁজ এমন তিনজনের সন্ধান মিলেছে। প্রায় চারমাস নিখোঁজ থাকার পর গত সপ্তাহে হঠাৎ করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ২০শে ডিসেম্বর দুমাসেরও বেশি নিখোঁজ থাকার পর সাংবাদিক উৎপল দাসকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় পাওয়া যায়। প্রায় দেড়মাস নিখোঁজ থাকার পর ২২শে ডিসেম্বর ফিরে আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার। গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে রামপুরা সেতুর পাশ থেকে মিঃ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে তোলা হবে এবং ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ আরো জানিয়েছেন গ্রেপ্তারের সময় মিঃ আহমেদের কাছে একটি ল্যাপটপ, তিনটা মোবাইল ফোন এবং বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক ছিল। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের হওয়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদিকে, মিঃ আহমেদের স্ত্রী লুনা সাদাত আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তার স্বামীর নামে কোন মামলা ছিল না। গতরাতে টেলিভিশনে নিউজ স্ক্রলে ভেসে ওঠা শিরোনাম থেকে মিঃ আহমেদের খোঁজ জানতে পারে পরিবার। এর আগে গত ২২শে আগস্ট বিকেলে বিমানবন্দর সড়কের বনানী ফ্লাইওভারের নিচে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক গাড়ি থামিয়ে মিঃ আহমেদকে তুলে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। সেসময় গাড়িতে মিঃ আহমেদের ছেলে এবং ড্রাইভার ছিল। পরে তিনি ক্যান্টনমেন্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন। লুনা সাদাত আহমেদ জানিয়েছেন, নিখোঁজ হবার পর থেকে কোন ধরণের যোগাযোগই হয়নি মিঃ আহমেদের সঙ্গে। কথিত অপহরণকারী বা অন্য কেউই এ সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মিঃ আহমেদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি। তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আরো পড়ুন: নিখোঁজের চারমাস পর 'গ্রেপ্তার' কল্যাণ পার্টি নেতা মোবাশ্বার ফিরেছেন: কেন নিখোঁজ ছিলেন তিনি? 'জঙ্গলের মধ্যে টিন-শেড ঘরে আমাকে আটকে রাখে' | চার মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদকে এবার 'গ্রেপ্তার' করেছে পুলিশ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | এভাবে দেয়াল তুলে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসাকর্মী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলের দিকে পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে তিনজন মৃত ছিলেন। আহত দুজন হাসপাতালে ভর্তি হবার পর মারা যান বলে হাসপাতালের সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। শনিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হেফাজতকর্মীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবারের বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে স্থানীয় সাংবাদিক সেলিম পারভেজ বিবিসিকে জানিয়েছেন, সকাল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। শুক্রবারের ঘটনা ও নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে বিকেলে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নন্দনপুর নামে একটি স্থানে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছেন মি. পারভেজ। সেখানে গুলির ঘটনা ঘটে, এবং সে ঘটনায় কয়েকজনের গুলিবিদ্ধ হবার খবর তিনি দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জায়গায় ইতোমধ্যেই বিজিবি মোতায়েনের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শহরে দশ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। হাটহাজারী এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ইঁটের দেয়াল তুলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সেখানে থানা ও এসি ল্যান্ড অফিসসহ কয়েকটি সরকারি অফিসে হামলার ঘটনা ছাড়াও সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। নিহতদের কোন ধরণের ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের দাবি জানাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জন্য হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার, কোনো মামলা না করাসহ কয়েকটি দাবিতে শনিবার ভোর থেকে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় নেমে আসে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মোদীবিরোধী বিক্ষোভে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ জনের মৃত্যু মোদীর সফর ঘিরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোদীর ঢাকা সফরের পক্ষে-বিপক্ষে নানা অবস্থান মোদীর সফর: বাংলাদেশের উদ্বেগ কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে ভারতের কাছে? ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাঁজোয়া যানে বিজিবির টহল স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, মাদ্রাসার সামনে সড়কের একটি জায়গায় দেয়াল তোলার পাশাপাশি আরেকটি জায়গায় সড়ক কেটে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এলাকায় উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতা বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে এসব বিষয়ে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থামছে না: ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে আগুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে শুক্রবার আগুন দেয়ার কারণে ওই স্টেশনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় সহিংসতার পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা হয়। শহরের রেলস্টেশনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে বিক্ষোভকারীরা। এখানে সহিংসতার জেরে একজনের প্রাণহানি ঘটে । সেখানকার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম বিবিসিকে জানিয়েছেন যে শুক্রবারের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছেন তারা। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। আরো বিক্ষোভ - পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: ওদিকে শুক্রবারে হতাহতের প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ ও রোববার হরতালের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। অন্যদিকে যুবলীগও আজ সারা দেশে মিছিল সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সিলেটসহ কয়েকটি এলাকায় কিছুক্ষণ আগে তাদের মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মোদীর সফরের প্রতিবাদে ঢাকায় ভাসানী পরিষদ নামে একটি সংগঠন আজ প্রেসক্লাব এলাকায় সমাবেশ করেছে যেখানে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। | ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে শনিবার পাঁচজনের মৃত্যুর খবর স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | শাড়ি চুরির অভিযোগে আটক রামাধার পান্ডে। ১৯৭৬ সালের ২৫শে ডিসেম্বর গুজরাটের সুরাট শহর থেকে ট্রেনে কলকাতা আসছিল এক বান্ডিল শাড়ি। মালগাড়িটি কলকাতার লাগোয়া শালিমার রেল ইয়ার্ডে আসার পরে দেখা যায় ৮৯টি শাড়ির খোঁজ নেই। তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পারে যে ছত্তিশগড়ের (তখন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অঙ্গ ছিল) রায়পুরে চুরি হয়েছে ওই শাড়ির বান্ডিলটি। রেল সুরক্ষা বাহিনী আরও জানতে পারে যে কয়েকজন রেল কর্মীই ওই চুরির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের মধ্যেই ছিল রামাধর পান্ডের নাম। বাকি ৮জনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রামাধর পান্ডের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। চাকরি ছেড়ে দিয়ে কোথায় যে উধাও হয়ে গিয়েছিল, তা জানা যায় নি অনেক বছর। রায়পুরের রেল সুরক্ষা বাহিনীর অফিসার ইন-চার্জ দিবাকর মিশ্র বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন, "প্রায় ২২ বছর ধরে মামলা চলার পরে স্থায়ী জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর অর্থ, যে কোনও সময়েই গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। আমরা অনেক খোঁজ করে জানতে পারি যে রামাধর পান্ডে বিহারে তার গ্রামের বাড়িতেই আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে দুই তিনবার অভিযান চালানো হয়েছে, তবে ধরা যায় নি।" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে যেভাবে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান হতাশা আর কষ্ট থেকে চলে এসেছি: আবুল বাজানদার জার্মানি ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন যে সিরিয়ানরা ছাপরা জেলায় নিজের গ্রামের এক মাতব্বর রামাধর। তাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলেই গ্রামসুদ্ধু লোক বাধা দিত। তাই বারে বারে ফিরে আসতে হয়েছে রেল সুরক্ষা বাহিনীকে। "তাই এবার আমরা আর ঝুঁকি নিই নি। বিহার পুলিশের সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে প্ল্যান করা হয় যে দিনের বেলা যখন ধরা যাচ্ছে না, তখন রাত্রে অভিযান চালাব," বলছিলেন মি. মিশ্র। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে পুলিশের গাড়িগুলো রেখে দেওয়া হয়েছিল। বাকি পথটা পায়ে হেঁটে রওনা দেয় বাহিনী। পরে মি. পান্ডের বাড়িটা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এবার আর পালাতে পারেন নি রামাধর পান্ডে। মি. মিশ্র বলছিলেন, "চুরির অভিযোগটি যখন দায়ের হয়েছিল ওই রেল কর্মীর বিরুদ্ধে, তখন বয়স ছিল প্রায় ৩০। সেই যুবক এখন ৭০ পেরিয়ে গেছে। তবুও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেনই।" | শাড়ি চুরির অভিযোগে ভারতে এক ব্যক্তিকে কথিত ঘটনার ৪২ বছর পর গ্রেফতার করা হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | এমবিএসের দিন শেষ? অনেকেই এমন ভাবছেন কিন্তু পরিস্থিতি কি বলে? ইস্তুাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি খুন হবার পর পশ্চিমা দেশগুলোতে 'এমবিএস ব্র্যান্ড' এখন আরো বিপজ্জনক হয়ে গেছে। যদিও সৌদি আরব বারবার বলছে, ওই খুনের ঘটনার সাথে প্রিন্স সালমোনের কোন যোগাযোগ ছিল না - কিন্তু এ অস্বীকৃতি দেখা হচ্ছে গভীর সন্দেহের চোখে। কারণ কি? এক কথায় - যে দেশে ওপরের নির্দেশ ছাড়া প্রায় কিছুই হয়না, সেখানে কিছু নিয়মভঙ্গকারী এজেন্ট মিলে জামাল খাসোগজিকে খুন করেছে, এটা শুনতে প্রায় অসম্ভব মনে হয়। আরব দেশগুলোতে একটা 'তত্ব' বেশ চলছে। সেটা হলো এই রকম: খাসোগজি সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক ছিলেন এবং তাই এমবিএস চেয়েছিলেন তার ব্যাপারে 'কিছু একটা করা হোক' - কিন্তু তিনি কখনো খুনের অনুমতি দেননি। বরং তার অফিস যিনি চালান সেই সাউদ আল-কাহতানি এমবিএসের নির্দেশের বাইরে গিয়ে হত্যাকারীদের বলেছিলেন যে 'যুবরাজ সবকিছুরই অনুমোদন দিয়েছেন।' সমস্যা হলো সৌদি আরবের বাইরে প্রায় কেউই এ কথা বিশ্বাস করে না। কারণ এ খুনের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সৌদি আরবের দিক থেকে একেক বার একেক রকম কথা বলা হচ্ছিল। তাই এটাই অনুমান করে নেয়া যায় যে - প্রিন্স সালমান তার মোটা-বেতন-পাওয়া মিডিয়া উপদেষ্টাদের কথা কানে শুনলেও পাত্তা দেন নি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব সৌদি আরবকে সরাসরি দোষারোপ করলেন এরদোয়ান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদকে কি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? খাসোগজি হত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কারা এই ১৫ জন? খাসোগজিকে খুনের সাথে জড়িত বলে যাদের সন্দেহ করা হয় তাদের কয়েকজন ফলে এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে এমবিএস এখন বিশ্বজনমতের কাঠগড়ায় -এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে তার সাথে কোন সংস্রব আছে এটা আর তারা দেখাতে চাইছে না। কিছু পশ্চিমা সংস্থা এবং মার্কিন কংগ্রেসম্যান এখন দাবি করছেন, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। এখন সৌদি আরব দাঁড়িয়ে আছে এক মোড় বদলকারী মুহূর্তে। কি করতে পারে দেশটি? এখন কি সৌদি রাজপরিবারের সিনিয়র প্রিন্সরা মিলে এমবিএসের ক্ষমতা কিছু কমিয়ে দেবেন - যাতে এই বিক্ষুব্ধরা খুশি হয়? নাকি তাকে যুবরাজের পদ থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দিয়ে একটা নামমাত্র এবং অর্থহীন পদোন্নতি দেয়া হবে? নাকি তারা এই ঝড় কেটে যাবার জন্য অপেক্ষা করবেন? বিবিসির ফ্রাংক গার্ডনার লিখছেন, সৌদি রাজপরিবারের অন্দরমহলে, বন্ধ দরজার ওপাশে এখন এ প্রশ্নগুলো নিয়ে 'অত্যন্ত গুরুতর' আলোচনা চলছে। জামাল খাসোগজি হত্যাকান্ডের পর প্রিন্স সালমানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিক্ষোভ হয়েছে ব্যাপারটা কত গুরুতর - তার একটা আভাস পাওয়া যায় একটি ঘটনা থেকে। বিরাশি বছর বয়স্ক সৌদি বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেলআজিজ হঠাৎ করেই গত মঙ্গলবার রিয়াদে ফিরে এসেছেন। তিনি এতদিন লন্ডনে ছিলেন, কারণ তিনি ছিলেন এমবিএসের বিরোধীদের মধ্যে 'গুরুস্থানীয়' একজন ব্যক্তি যিনি ইয়েমেনে যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, এবং এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করেছিলেন যুবরাজ সালমান এবং তার পিতাকে। তার ভয় ছিল - দেশে ফিরলেই তাকে গৃহবন্দী করা হবে। গভীর রাতে রিয়াদে নামার পর প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেলআজিজকে আগরবাতির ধোঁয়া এবং অন্য প্রিন্সদের উষ্ণ আলিঙ্গন দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। অভ্যর্থনাকারীদের মধ্যে এমবিএসও ছিলেন। প্রিন্স আহমেদ এখন চেষ্টা করছেন পুরো রাজপরিবারকে একসাথে করতে। কিন্তু এমবিএসের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ধরণের আলোচনা করছেন তারা? প্রথম কথা - ৩৩ বছর বয়স্ক প্রিন্স সালমানকে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ এখন নেই। যুবরাজ অনেক আগেই সব চ্যালেঞ্জারদের সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন, রাজপরিবারের রক্ষক বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডকে নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীও তিনি - তাই সৌদি সশস্ত্র বাহিনীও তার নিয়ন্ত্রণে। যদিও বাদশাহ হচ্ছেন তার অসুস্থ পিতা - কিন্তু রাজকীয় আদালত, অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং দেশ পরিচালনার প্রকৃত কর্তৃত্ব - এগুলোও এমবিএসের হাতে। জামাল খাসোগজি খুনের ঘটনা নজিরবিহীন এক সংকট তৈরি করেছে এমবিএসের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যে এমবিএস কোন গণতান্ত্রিক নেতা নন। তাকে জানেন এমন একজন বর্ণনা করেছেন - লোকটি আসলে 'একজন বেপরোয়া, নিয়ন্ত্রণহীন গুন্ডা।' কিন্তু তার অনেক বাড়াবাড়িই সৌদি আরবের মানুষ এতদিন ধরে মেনে নিচ্ছিল। লক্ষ লক্ষ তরুণ সৌদির কাছে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তাদের ভবিষ্যতের আশার প্রতীক - একজন সাহসী, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী নেতা, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংস্কারক - যিনি ধর্মীয় নেতাদের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছেন, মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়েছেন, সৌদি সমাজে বিনোদনের সুযোগ খুলে দিয়েছেন। তেলভিত্তিক সৌদি অর্থনীতিরও সংস্কার করছেন তিনি। ওয়াশিংটন, লন্ডন বা প্যারিসের কূটনীতিক বা নীতিনির্ধারকদের কাছে মনে হতে পারে, প্রিন্স সালমানকে সরিয়ে দেয়া বা তাকে সংযত করাই এখন স্বাভাবিক বিকল্প। কিন্তু সৌদি আরবের রক্ষণশীল রাজপরিবার ঝুঁকি নিতে অনাগ্রহী। তারা চাইবে এরকম কিছু না করতে। তাই এমবিএসের দিন কি শেষ হয়ে গেছে? এ পর্যায়ে এটা বলা খুবই কঠিন। মনে রাখবেন, ২০১১ সালের মাঝামাঝি 'আরব বসন্তের' সময় প্রায় সবাই ভেবেছিলেন - সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ কয়েক মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হবেন। তার পর সাত বছর পেরিয়ে গেছে। আজও ক্ষমতায় আছেন তিনি। | "সে শেষ হয়ে হয়ে গেছে", "সে খুবই বিপজ্জনক", "আমরা তাকে ভালোবাসি", "তিনি আমার হিরো" - সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পর্কে এসব কথা থেকে বোঝা যায় যে তাকে নিয়ে জনমত একেবারেই বিভক্ত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | গত অক্টোবর মাসে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তবে সে এখন সুস্থ গুরুতর অবস্থায় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার রক্তে দূষণ এবং বিপদজনক মাত্রার প্লাটিলেট কাউন্ট ছিল। তবে এখন তার ওজন বেড়েছে, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং প্লাটিলেট কাউন্ট স্বাভাবিক হয়েছে, বিবিসিকে বলছেন তার চিকিৎসক রাভি খান্না। এখনো তার বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাধ্যতামূলক একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তাকে দত্তক দেয়া হবে। এখন সে উত্তর প্রদেশের বারেইলি জেলার শিশু কল্যাণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। অনেকটা আকস্মিকভাবে ওই শিশুটিকে একজন গ্রামবাসী খুঁজে পান, যিনি তার সদ্য মারা যাওয়া নবজাতক শিশুকে দাফন করতে কবর খুঁড়ছিলেন। আরো পড়ুন: বাঁচার লড়াই করছে কবর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুটি ভারতের যে গ্রামে কোনও শিশু জন্মায় না ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? ভারতে শিশু হত্যা: ১৯টি ভ্রূণ উদ্ধার করলো পুলিশ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সাধারণত মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে, তবে শিশুদের অনেক সময় কবর দেয়া হয়। ওই গ্রামবাসী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন প্রায় তিন ফুট গর্ত খুঁড়েছিলেন, তখন তার শাবলটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেটি ভেঙ্গে যায়। তখন তিনি একটি শিশুর কান্না শুনতে পান। যখন তিনি পাত্রটি বাইরে বের করে আনেন, তিনি দেখতে পান ভেতরে একটি শিশু রয়েছে। প্রথমে ওই শিশুটিকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুইদিন পরে তাকে ড. খান্নার শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ভালো চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির অপরিণত অবস্থায় জন্ম হয়েছে, সম্ভবত তার বয়স ছিল ৩০ সপ্তাহ। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার ওজন ছিল মাত্র ১১০০গ্রাম। তখন তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, তার রক্তশূন্যতা রয়েছে। এছাড়া তার ঠাণ্ডা এবং হাইপোর (রক্তে চিনি শূন্যতা) সমস্যা রয়েছে। গত মঙ্গলবার যখন তাকে আমরা জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি, তার ওজন বেড়েছে ২.৫৭ কেজি। সে এখন বোতল থেকে দুধ খেতে পারছে এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছে,'' বলছেন ড. খান্না। ড. রাভী খান্না বলছেন, শিশুটি এখন বোতল থেকে দুধ খেতে পারছে এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছে শিশুটি কতক্ষণ ধরে কবর দেয়া অবস্থায় ছিল, সেটি জানা যায়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, তারা শুধু ধারণা করতে পারেন যে, শিশুটি কীভাবে টিকে ছিল। ড. খান্না বলেছেন, তাকে হয়তো তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে কবর দেয়া হয়েছিল এবং সে নিজের শরীরের বাদামী চর্বির ওপরেই নির্ভর করে টিকে ছিল। তলপেটে, উরু এবং গালে এ ধরণের চর্বি নিয়ে শিশুদের জন্ম হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে এর ওপর নির্ভর করে শিশুরা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকে হয়তো দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে কবর দেয়া হয়েছিল এবং উদ্ধার করা না হলে সে হয়তো আর এক বা দুই ঘণ্টা টিকে থাকতে পারতো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাশ্মীরের মানুষের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাতিল বাংলাদেশে পীর-সুফিদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভারতে নারীদের প্রতি এতো যৌন সহিংসতা কেন? বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক যে পাঁচ বিক্ষোভকারী মাটির পাত্রে থাকা ফুটোর কারণে হয়তো সেখানে বাতাস চলাচল করেছে, ফলে সে অক্সিজেন পেয়েছে। অথবা নরম মাটির ভেতর থেকেও সে অক্সিজেন পেয়ে থাকতে পারে। গত অক্টোবর মাসে 'অজ্ঞাতনামা' ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ এবং নবজাতকটির বাবা-মায়ের সন্ধান করতে শুরু করে। পুলিশ বলেছে, তাদের বিশ্বাস শিশুটিকে কবর দেয়ার সঙ্গে তার বাবা-মা জড়িত আছে, কারণ এই ঘটনাটি এতো আলোচনার জন্ম দিলেও, কেউ শিশুটির অভিভাবকত্ব দাবি করতে এগিয়ে আসেনি। তবে এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা। তবে বিশ্বের যেসব দেশে লিঙ্গ বৈষম্য সবচেয়ে বেশি, ভারত তার অন্যতম। নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় সামাজিকভাবে বৈষম্য করা হয় এবং মেয়েদেরকে আর্থিক বোঝা বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে দরিদ্র সমাজগুলোয়। | ভারতে মাটির পাত্রে রেখে জীবন্ত কবর দেয়া যে মেয়ে শিশুটিকে গত অক্টোবর মাসে উদ্ধার করা হয়েছিল, সে এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ফতেহপুর গ্রাম, দূরে দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি। মৌলভীবাজার থেকে পুলিশ জানাচ্ছে, ফতেহপুরের বাড়িটিতে এই অভিযান শুরু করা হয় সন্ধ্যে ছ'টার কিছু পর। অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াট। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, সেখান থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযানস্থল থেকে একটু দূরে অবস্থান করছেন স্থানীয় সাংবাদিক শাকির হোসেন। তিনি জানাচ্ছেন, সন্ধ্যে সোয়া ছ'টার দিকে ব্যাপক গুলির শব্দ পান তারা। আনুমানিক তিনশ রাউন্ডের মতো গুলি হবার পর গোলাগুলির তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। এই জঙ্গি আস্তানাটি শহর থেকে একটু দূরে। এটি একতলা বিশিষ্ট, টিনের চাল, চারদিকে ইটের দেয়াল। দুই মাস আগে নতুন ভাড়াটিয়া উঠেছিল বাড়িতে। সেখানে দুজন পুরুষ, একজন মহিলা ও একটি শিশু ছিল বলে এলাকাবাসীর বর্ণনায় জানা গেছে। শহরের বরহাটেও ভোর থেকে আরেকটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পুলিশের ঘিরে রাখা দুটি বাড়িরই আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। দুটি বাড়িরই মালিক একই ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। আরো পড়ুন: মৌলভীবাজারে 'জঙ্গি আস্তানা': কী জানা যাচ্ছে? জঙ্গি: কুমিল্লাতেও একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ | বারো ঘণ্টারও বেশী সময় ঘিরে রাখার পর মৌলভীবাজারের দুটি জঙ্গি আস্তানার মধ্যে একটিতে অভিযান শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মাইক পম্পেও।শেষ দিনগুলোতে পররাষ্ট্র নীতিতে এমন কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত তিনি দিয়েছেন যা জো বাইডেনকে ভোগাবে শেষ দিনগুলোতে পররাষ্ট্র নীতিতে এমন কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত তিনি দিয়েছেন যা জো বাইডেনকে নিশ্চিতভাবে ভোগাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মি. বাইডেন মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশ নীতি গত চার বছরে বিশ্বে আমেরিকার নেতৃত্ব, প্রভাব ক্ষুণ্ণ করেছে এবং আমেরিকাকে তার মিত্রদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। বিগত মাসগুলোতে জো বাইডেন বার বার করে বলেছেন, বিশ্বের আমেরিকার 'মর্যাদাপূর্ণ নেতৃত্ব' প্রতিষ্ঠাই হবে তার বিদেশ নীতির প্রধান লক্ষ্য। এমন লোকজনকে তিনি তার পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন যারা ‘একলা-চলো‘ নীতির বদলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী। কিন্তু ক্ষমতার একসময়ে শেষ সময়ে চীন, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত মাইক পম্পেও দিয়েছেন যার পরিণতি জো বাইডেনকে ভোগ করতে হবে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন মাইক পম্পেও যা নিয়ে জাতিসংঘ এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গত ১০দিনে মি. পম্পেওর গুরুত্বপূর্ণ যে সব সিদ্ধান্ত: কিউবার রাজধানী হাভানায় গতমাসে মানবাধিকার দিবস উদযাপনের দৃশ্য। কিউবাকে হঠাৎ করে সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বাইডেনের অভিষেকের আগে কিছু মার্কিন শহরে অস্ত্রধারীদের মহড়া ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় 'উস্কানি' দেয়ায় আবারো অভিশংসিত ট্রাম্প চীনের সাথে বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার কোনো ইচ্ছা জো বাইডেনের না থাকলেও, তিনি চীনের সাথে সম্পর্কে সুর বদলাতে আগ্রহী। ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তিতে ফেরা তার অন্যতম লক্ষ্য। ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনে সৌদি আরবের ওপর চাপ তৈরির জন্য ডেমোক্র্যাটদের বামপন্থী অংশের ভেতর থেকে বড় ধরনের চাপ রয়েছে তার ওপর। কিউবার সাথে বৈরিতা দূর করার ব্যক্তিগত ইচ্ছা রয়েছে জো বাইডেনের। কিন্তু বেছে বেছে মাইক পম্পেও শেষ বেলায় ঠিক ঐ জায়গাগুলোতে হাত দিয়েছেন। খোঁচা-অপমান শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষান্ত হননি মি পম্পেও, গত কদিন ধরে তিনি এমন সব বিবৃতি দিচ্ছেন যার প্রধান বক্তব্য - ডেমোক্র্যটরা আগেও তাদের বিদেশ নীতিতে আমেরিকার স্বার্থ দেখেনি, এবারও দেখবে না। যেমন, ওবামা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির পুরনো একটি ভিডিও তিনি টুইটারে পোস্ট করেছেন যেখানে মি. কেরি বলছেন যে ফিলিস্তিন নিয়ে ছাড় না দিলে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবেনা। ঐ ভিডিও পোস্টের সাথে মি পম্পেও লিখেছেন, “এই মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞকে চিনে রাখুন! তিনি যেটা হবেনা বলেছিলেন, আমরা তা করে দেখিয়ে দিয়েছি।“ গত সপ্তাহে মি পম্পেও তার আরেক টুইটে বলেন, “জাতিসংঘে সবচেয়ে বেশি তহবিলের যোগানদাতা হিসাবে আমি মার্কিন করদাতা এবং আমেরিকার স্বার্থ দেখেছি।“ টুইটের সাথে একটি ছবি তিনি পোস্ট করেন যে ছবিতে বারাক ওবামা, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুজান রাইস এবং জাতিসংঘে তৎকালীন মার্কিন সামান্থা পাওয়ার রয়েছেন। জো বাইডেনের সরকারেও সুজান রাইস এবং সামান্থা পাওয়ার জায়গা পেয়েছেন। বাইডেনের বিকল্প কী এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিদেশ নীতি নিয়ে ট্রাম্প সরকারের শেষ মুহূর্তের এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে কী করতে পারেন জো বাইডেন? তার সামনে বিকল্প কী? বাইডেনের উপদেষ্টা শিবির থেকে বলা হচ্ছে মি পম্পেওর এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত এবং সহজেই এগুলো উল্টে দেওয়া সম্ভব। বারাক ওবামা সরকারের সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা বিভাগে উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করতেন শীর্ষ আইনজীবী অ্যাডাম স্মিথ। তাকে উদ্ধৃত করে লন্ডনের ফাইনানসিয়াল টাইমস পত্রিকা লিখেছে আইনগতভাবে মি. পম্পেওর এসব নির্দেশনা সবই উল্টে দেওয়া সম্ভব কারণ এগুলো, তার মতে, নির্বাহী আদেশ যা প্রেসিডেন্ট পাল্টে দিতে পারেন। তবে তিনি বলেন, বাতিল করার আগে এসব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে হবে যে কাজে অনেক সময় লাগতে পারে। শুধু যে কালক্ষেপণ হবে তাই নয়, এগুলো বদলাতে গেলে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হতে পারেন জো বাইডেন। নভেম্বরের নির্বাচনে মি বাইডেন ফ্লোরিডায় কিউবান-অমেরিকানদের সমর্থন তেমন পাননি। ফলে, কিউবার ওপর বসানো ‘সন্ত্রাসে মদতদাতার‘ তকমা ওঠাতে তাকে দশবার ভাবতে হবে। তাইওয়ানের সাথে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত পুনঃ:স্থাপনের সিদ্ধান্ত বদলানোর ক্ষেত্রেও একইরকম দ্বিধায় পড়তে পারেন তিনি। কারণ চীনকে শায়েস্তা করার ইস্যুতে কংগ্রেসে দুই দলের মধ্যে এক ধরণের ঐক্যমত্য রয়েছে। সাহস করে মাইক পম্পেওর শেষ মুহূর্তের এসব সিদ্ধান্তের কিছুটা হলেও হয়তো মি বাইডেন উল্টে দিতে পারবেন বা দেবেন, কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন আস্থার সঙ্কটই হবে বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় সমস্যা। ইরান এবং অন্য দেশগুলো মি. বাইডেনের সাথে নতুন কোনো চুক্তি করতে এখন দুবার ভাববে কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখিয়েছেন কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তিও রাতারাতি উল্টে ফেলা যায়। | মুখ বুজে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে রাজী হননি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট‘ বিদেশ নীতির প্রধান সেনাপতি মাইক পম্পেও। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। রবিবার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবসে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। বার্তাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত। দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সংকট নিরসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দুই পক্ষের জন্য আলাদা দুটি দেশ। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি অনেকটাই বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি মুসলিম দেশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর এক গোপন সৌদি আরব সফর এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকও অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের একটি প্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যস্ততা করছে আমেরিকা। ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে পাথর ছুঁড়ে লড়াইয়ের ছবি ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের একটি প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয়েছে। বার্তায় যা আছে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ গতকাল এই দিবসটিতে আলাদা বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাতে বলেছেন, "পূর্ব জেরুজালেম-আল কুদস আল শারিফকে রাজধানী রেখে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের আঙ্গিকে ১৯৬৭ সালের সীমানাভিত্তিক একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে আমরা আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি।" আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? গোপনে সৌদি গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু, বৈঠক করেছেন যুবরাজের সঙ্গে ইসরায়েল-সৌদি আরব গোপন বৈঠকের পেছনে কী হিসেব-নিকেশ কাজ করেছে? ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর আসল কারণ কী ছিল? শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ নিজে যেহেতু স্বাধীনতার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছে তাই স্বাধিকারের প্রশ্নে বিশ্বের যেকোনো জাতির সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। "১৯৭১ সালের ভয়াবহ গণহত্যার কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার যে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে, তা থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ যেভাবে অন্যায় ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সোচ্চার।" ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গোপনে বৈঠক করেছেন বলে খবরে প্রকাশ। শেখ হাসিনা তার বার্তায় রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, একই ধরনের চেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমারে সহিংসতার হাত থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের আহবান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রশ্নে তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন। ইসরায়েলি সেনাদের তিনি 'দখলদার' বলে উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস বন্ধ এবং অধ্যুষিত এলাকায় ইসরায়েলিদের বসতি স্থাপন বন্ধ করার আহবান জানান। যে পটভূমিতে এই বার্তা স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জনগণের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। এমনকি এ কারণে ইসরায়েল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর স্বীকৃতি দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বের বেশ কটি আরব দেশ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের দিকে ঝুঁকছে। অগাস্ট মাসে ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি। এরপর বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি সৌদি আরবও ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগুচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গোপনে বৈঠক করেছেন এই খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নানা ধরনের আর্থিক সহায়তা ও লক্ষ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের আয়ের উৎস মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরব। এমন পটভূমিতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোর অবস্থানের বিপরীতে, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বাংলাদেশের এই অবস্থান একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়। অন্যান্য খবর: যমুনার উপর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু যেমন হবে মোহসেন ফখরিযাদে: তাকে হত্যার পেছনে জটিল যে সব মোটিভ যেসব কারসাজি করে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধ পথে অর্থ পাচার হয় | মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মুসলিম দেশই যখন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের প্রতি সংহতির কথা আবারো জানালো বাংলাদেশ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | গুগল ট্রেন্ডের তথ্য মতে, 'ইডিয়ট' শব্দটি এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ। এর মধ্যেই এটি দশ লাখ বেশিবার খোঁজা হয়েছে। কংগ্রেসে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের শুনানির সময় এই অদ্ভুত যোগাযোগের বিষয়টি উঠে আসে। মি. পিচাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, গুগলের অ্যালগরিদমে এটা কি রাজনৈতিক কোন পক্ষপাত থেকে করা হয়েছে কিনা? তিনি এই অভিযোগ নাকচ করে দেন। গুগল ট্রেন্ডের তথ্য মতে, 'ইডিয়ট' শব্দটি এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ। এর মধ্যেই এটি দশ লাখ বেশিবার খোঁজা হয়েছে। আরো পড়ুন: গুগল সম্পর্কে যে ১০টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই গুগল সার্চে বাংলাদেশীরা যাদের বেশি খোঁজ করেছেন গুগল ছবির সার্চে গিয়ে ইংরেজিতে 'ইডিয়ট' শব্দটি লিখলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের কাছে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান জোয়ি লোফগ্রেন জানতে চেয়েছিলেন, কোন 'ইডিয়ট' শব্দটি গুগলে লিখলে অন্যসব তথ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে? ''কিভাবে এটা ঘটে? কেন খোঁজার প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টি ঘটে?'' তিনি জানতে চান। মি. পিচাই জবাব দেন যে, কোটি কোটি 'কি ওয়ার্ড' থেকে ২০০টির বেশি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল তৈরি করে, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা এবং জনপ্রিয়তার মতো বিষয় রয়েছে। ''সুতরাং এটা এমন না যে, গুটিকয়েক লোক পেছনে বসে ঠিক করছে যে, আমরা ব্যবহারকারীদের কি ফলাফল দেখাবো?'' জানতে চান মিজ. লোফগ্রেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরাও মি. পিচাইকে চেপে ধরেন। যেমন স্টিভ ক্যাবোট জিজ্ঞেস করেন, যেকোনো তার দলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে কিছু লিখলে শুধুমাত্র নেতিবাচক সংবাদগুলোই দেখানো হয়। মি. পিচাই উত্তর দেন, যখন মানুষ গুগল লিখে কোনকিছু অনুসন্ধান করে, তখনো এরকম নেতিবাচক খবর দেখা যায়। গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দার পিচাই 'ইডিয়ট' শব্দের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আসার এই বিষয়টি এ বছরের শুরুর দিকেই আলোচনায় আসে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সফরের সময় ব্রিটিশ বিক্ষোভকারীরা 'আমেরিকান ইডিয়ট' গানটিকে ইউকে চার্টের শীর্ষে নিয়ে আসেন। এটা ঘটে যখন ওয়েবসাইট রেডিট একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে যে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবির সঙ্গে 'ইডিয়ট' শব্দটি ছিল। এর মাধ্যমে তারা নিজের স্বার্থে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ডাটাবেজের ব্যবহার করতে চেয়েছিল, যে প্রবণতা 'গুগল বম্বিং' নামে পরিচিত। এটাই প্রথম নয় যে, কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। ২০০৩ সালে 'মিজেরাবল ফেইলিওর' বা দুঃখজনক ব্যর্থতা লিখলে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ছবি দেখা যেতো। কংগ্রেসের এই শুনানিতে আরো একটি ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের এই প্রযুক্তি শিল্প নিয়ে খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের ধারণা রয়েছে। যেমন রিপাবলিকান স্টিভ কিং সুন্দার পিচাইয়ের কাছে জানতে চান, কেন তার নাতনির আইফোনটি অদ্ভুত আচরণ করে? জবাবে মি. পিচাই জানান যে, ওই ফোনটি গুগল তৈরি করেনি। আরো পড়তে পারেন: 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি কীভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে রাজনৈতিক দলগুলো গুগল সার্চ কীভাবে কাজ করে? | গুগল ইমেজে গিয়ে ইংরেজিতে 'ইডিয়ট' শব্দটি লিখলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান এরকম বক্তব্য দেয়ার পর এখন এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশিবার গুগলে 'ইডিয়ট' শব্দটি খোঁজা হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | পেনাল্টি মিসের পর হতাশ লিওনেল মেসি মেসি যখন পেনাল্টিটি নেন তখন খেলায় ১-১ গোলে সমতা চলছিল। এতে গোল পেলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যেতো, কিন্তু আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হানেস হালডর্সন সহজেই মেসির শটটি ঠেকিয়ে দেন। পুরো খেলায় মেসি মোট ১১টি শট নেন গোল লক্ষ্য করে, কিন্তু বল জালে ঢোকে নি। রোনাল্ডোর সাথে এ তুলনা আরো জোর পেয়েছে, কারণ তার আগের দিনই স্পেন-পর্তুগাল খেলায় দেখা গেছে, স্পেন তুলনামূলকভাবে শ্রেয়তর দল হলোও রোনাল্ডো তিনটি গোল করে প্রায় একাই খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। রোনা।ল্ডো ইতিমধ্যে তার দেশ পর্তুগালকে ইউরো ২০১৬-র শিরোপা জিতিয়েছেন। কিন্তু মেসির আর্জেন্টিনা এখনো বিশ্বকাপ বা লাতিন আমেরিকান কাপও জেতেনি। পৃথিবীর বহু ফুটবল বিশ্লেষক মেসিকে 'এ যুগের শ্রেষ্ঠ' বা 'সর্বকালের সেরা' ফুটবলার ইত্যাদি নানা অভিধায় ভূষিত করেছেন। কিন্তু ক্লাব স্তরে বার্সেলোনাকে বহু সাফল্য এনে দিলেও, আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির আর্জেন্টিনা শুধু অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক এবং অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। গত ২০১৪-র বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছিল, কিন্তু তারা জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে রানার্স-আপ হয়। রোনাল্ডো এবার বিশ্বকাপেও দেখা গেল, রোনাল্ডোর শট গোলকিপারের হাত থেকে ফসকে গিয়ে গোল হয়ে যাচ্ছে, আর মেসির শট উড়ে যাচ্ছে গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। রোনাল্ডো বিশ্বকাপের আগে গত ৪৪টি টুর্নামেন্ট ফ্রি-কিক থেকে গোল করতে পারেন নি, কিন্তু বিশ্বকাপে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন। লিওনেল মেসি তার ক্লাব এবং দেশের হয়ে নেয়া গত ৬টি পেনাল্টি কিকের মধ্যে তিনটি মিস করেছেন। ইংলিশ ফুটবল বিশ্লেষক এবং সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা রিও ফার্দিনান্দ বলেছেন, "সবাই অপেক্ষা করছিলো মেসি কি করে দেখার জন্য । কিন্তু বলুন তো, এবার নিয়ে কতবার আমাদের বলতে হলো যে মেসির যা করার কথা তা তিনি করতে পারেন নি?" তবে তিনি বলেন, বিশ্বকাপে আগামী ম্যাচগুলোতে নিশ্চয়ই তাকে ভালো খেলতে দেখা যাবে। মেসি পরে বলেন, পেনাল্টি মিস করাটা তাকে মর্মাহত করেছে। "গোলটা হলে সবকিছু বদলে যেতো, আমরা এ্যাডভান্টেজ পেতাম। আমি কষ্ট পাচ্ছি, কারণ আমরা তিনটি পয়েন্ট পেলাম না। তবে আমরা দ্রুত এ আঘাত কাটিয়ে ওঠার চেষ্ট করবো। এখন আমাদের ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটির দিকে মন দিতে হবে।" মেসি বলেন, আইসল্যান্ড যেভাবে খেলেছে তাতে কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারা ভালোভাবেই আমাদের ঠেকাতে পেরেছে। অন্যদিকে রোনাল্ডো স্পেনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর এখন তার প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ফুটবলা বিশ্লেষকরা। রিও ফার্দিনান্দ বলেছেন, শুক্রবার রাতটা ছিল রোনাল্ডোর। তিনি একজন মহান খেলোয়াড় হয়ে ওঠার পথে অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে চলেছেন। বিশ্ব স্তরে তিনি যা করছেন তা অবিশ্বাস্য। বাস্তবেই রোনাল্ডো অনেক ম্যাচেই এটা দেখিয়েছেন যে তিনি যা করবেন সেটাই হবে শেষ কথা। রিও ফার্দিনান্দ বলছেন, গ্রেট হয়ে ওঠার পথে রোনাল্ডো যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তা মেসির ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রোনাল্ডোর এখন আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ৮৪টি - যা পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছেন ইরানের দায়েই (১০৯টি), দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে রোনাল্ডো আর হাঙ্গেরির পুসকাস। অনেকে এমনটাও বলছেন, রোনাল্ডোর বয়স ৩৩ হলেও তিনি ফিটনেস এবং ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে এতটাই যত্নবান যে হয়তো আগামি বিশ্বকাপেও তিনি খেলতে পারবেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: উল্টো মোজা, মাঠে প্রস্রাব: ফুটবলারদের আজব বাতিক দর্শক-দর্শনী দুটোই এখন ইউটিউব বিনোদনে | আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করার পর আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর তুলনা যেন আরো জোরেশোরে শুরু করেছেন ভক্তেরা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ইরাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল ক্লাবে ভক্তদের উল্লাস। বাগদাদে ম্যানইউ -এর অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা বলছেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশটির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত আর অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে এই ক্লাব কিছুটা মুক্তি দেয় তাদের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জয়ের পর তাদের হোম গ্রাউন্ড যুক্তরাজ্যের ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরেও শোনা যায় ভক্তদের উল্লাসধ্বনি। দূরত্ব এখানে কেবলই ভূখন্ডের, কিন্তু অনুভূতি একই। ইরাকের বাগদাদে ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্যান ক্লাবের সমর্থকেরা দলের পতাকা উড়িয়ে, মুখে দলের প্রতীক এঁকে একই আবেগে দলের সাফল্যে উল্লাস করছেন। প্রতি সপ্তাহে স্থানীয় এক শপিং মলে ক্লাবের দুইশোর মতো সদস্য একত্রিত হন। যত কাজ থাকুক, সময় বের করে ঠিক এখানে হাজির হয়ে যান তারা। এদেরই একজন আলা সাদি বলছেন "খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও, এটা ইরাকের সংঘাত, সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাঁচার এক ধরণের চেষ্টা। এখানে যারা আসছেন, তাদের অনেকেই পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।" "অল্প বয়সীরা নিজেদের মনোযোগ ফুটবলে কেন্দ্রীভূত করেন। আমাদের জন্য এটা কেবল ফুটবল খেলা দেখা নয়। আমরা এখানে একটু ভালো সময় কাটাই, আর নতুন নতুন বন্ধু খুঁজে পাই" বলছিলেন আলা সাদি। ২০১৪ সালে এই ফ্যান ক্লাবটি গঠিত হয়। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ সদস্য হয়েছেন ক্লাবের। ইরাকের মতো রাজনৈতিকভাবে অস্থির একটি দেশে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ একসঙ্গে দেখা বেশ কঠিন একটি কাজ। আরো পড়তে পারেন: হ্যাকারদের এবারের টার্গেট বড় বড় জাহাজ কোম্পানি গরুর প্রতি নিষ্ঠুরতার দায়ে বিজেপি নেতা গ্রেফতার বস্টনে বিক্ষোভে কোণঠাসা এক উগ্র ডানপন্থী সমাবেশ ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল? ২০১৪ সালে এই ফ্যান ক্লাবটি গঠিত হয়। গত বছর কথিত ইসলামিক স্টেট ইরাকের রেয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের একটি ক্লাবে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় ১৪জন নিহত হয়েছিলেন এবং অন্তত ২২জন আহত হয়েছিলেন। ফলে এখানে যারা একত্রিত হন নিয়মিত, খেলা দেখার উচ্ছাস যেমন আছে, নিরাপত্তার ঝুকিও একটি বাস্তবতা তাদের জন্য। বলছিলেন আলী মারওয়া নামের আরেকজন সমর্থক। "আইএসের উপস্থিতির কারণে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক ভাবতে হয়। প্রায়ই কতশত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, বিশেষ করে বাগদাদে। সেকারণে এই জায়গাটির মত একটু নিরাপদ একটা জায়গাকে বেছে নিয়েছি আমরা। এখন এই জায়গাটি আমাদের জন্য একটু বিশ্রাম আর নিজেদের মত সময় কাটানোর একটা জায়গায় পরিণত হয়েছে" বলছিলেন আলী মারওয়া। ক্লাবের সদস্যদের বয়স আর পেশা ভিন্ন রকম। মাঝবয়সী ফুটবল ভক্ত যেমন আছেন, তেমনি সদ্য কৈশোরে পা দেয়া সদস্যও রয়েছে। সদস্যদের অনেকেই নিজেদের পরিবার এমনকি ছোট ছোট বাচ্চাদেরও নিয়ে আসেন খেলা দেখতে। আরো পড়তে পারেন: 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' ইরাকে ম্যান ইউয়ের এক ভক্ত আলা সাদি। তারা বলছেন, নানারকম হুমকি, বোমা হামলা আর জাতিগত সহিংসতার মধ্যেও, ইরাকিদের মধ্যে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। "একজন সমর্থকের কত বয়স, তার ধর্ম কি, গায়ের রঙ কেমন বা সে কোন দেশের বা কোন শহরের মানুষ সেটা কোন ব্যপার নয়। আমরা এক পতাকার নিচে একত্রিত হই, আর সেটি ম্যান ইউ"। ক্লাবের ঘরটিতে বসার জন্য আরামদায়ক ব্যবস্থা রয়েছে। ঘরের বিভিন্ন দিকের দেয়ালে বেশ কটি টিভি স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা। খাবার আর কোমল পানীয় পাওয়া যায়, সেই সাথে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা রয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পতাকা, জার্সি, স্টিকার, ব্যাজ কিংবা খেলোয়াড়দের পোষ্টার এমন নানা স্মারক বিক্রি করা হয় দুটি ভিন্ন কোনে। ফুটবলকে কেন্দ্র করে তাদের যেন এক নতুন আত্মীয়তা গড়ে উঠেছে। ভক্তরা একসাথে ফুটবল খেলা দেখছেন। | ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তরা ছড়িয়ে আছেন বিশ্বজুড়ে। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকেও রয়েছে ক্লাবটির সমর্থকেরা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নতুন আসা পণ্যের ছবি তুলে ফেসবুক পাতায় তুলে দেয়া হয়। ক্রেতাদের সাড়া পাওয়ার পর সেগুলো 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' ভিত্তিতে পৌঁছে দেয়া হয় এসব ফেসবুক দোকানের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে পোশাকআশাক থেকে শুরু করে রূপসজ্জা এবং গৃহসজ্জার নানা জিনিসপত্র, ঈদের সময় যাদের বিক্রি বাট্টা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ফেসবুক-নির্ভর দোকানগুলোর কেন এত জনপ্রিয়তা? প্রতিদিনই বাংলাদেশের ফেসবুক পাতাগুলোয় কাউকে না কাউকে এ ধরণের পণ্য বিক্রির লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন কল্পতরু নামের একটি ফেসবুক পাতায় দেখা যাচ্ছে, পাতাটির মডারেটর নতুন সংগ্রহ করে আনা কাপড়চোপড় ফেসবুক পাতার মাধ্যমে সরাসরি তুলে ধরছেন। প্রতিদিনই বাংলাদেশে ফেসবুক পাতাগুলোয় কাউকে না কাউকে এভাবে সম্প্রচার করতে দেখা যায়। ঈদের আগে আগে এই প্রবণতা আরো বেড়েছে। কারণ বাংলাদেশ এখন এভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাপড়, রূপসজ্জা বা গৃহসজ্জার নানা উপকরণ। রঙের বাড়ি নামের একটি ফেসবুক পাতা, যেখানে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কাপড় বিক্রি করা হয় এরকম একটি ফেসবুক পাতার কর্ণধার এলমা খন্দকার এশা বলছিলেন, চাকরির পাশাপাশি এই পাতা থেকে তার ভালো আয় হচ্ছে। তিনি বলছেন, ''একবার ডিজাইন করে কিছু বন্ধুকে দেখালাম, দেখলাম সবাই খুব ভালো বলছে। সেখান থেকেই আসলে শুরু। যেহেতু আমি অনলাইনে থাকি, তখন ডিজাইন করে সেখানে তুলে ধরতে শুরু করলাম।'' চাকরিজীবী হওয়ায় চাকরির পাশাপাশি তিনি শাড়ি ডিজাইন করে বিক্রি করতে শুরু করেন। ফেসবুক সেগুলো তুলে দেয়ার পর তা দেখে অর্ডার আসে। তখন তিনি তাদের কাছে সরবরাহ করার পর দাম বুঝে নেন। ''পাশাপাশি আমাদের দেশের মেয়েরা ভারতীয় কাপড় বেশ পছন্দ করে। তাই ভারতের কাপড় সংগ্রহ করে সেগুলোও বিক্রি করতে শুরু করি।'' বলছেন এশা। ফেসবুকের এসব দোকান পরিচালকদের বেশিরভাগই নারী, যারা নিজেদের তৈরি করার ছাড়ায় ঢাকা অথবা দেশের বাইরে থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করেন। সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও উদ্যোক্তারা বলছেন, এদের সংখ্যা কয়েকশো হবে। তাদের বড় একটি অংশ গৃহবধূ অথবা শিক্ষার্থী, যারা একে বিকল্প একটি আয়ের মাধ্যম হিসাবে নিয়েছেন। তাদের ক্রেতাদের বড় অংশটিও আবার নারীরাই। ফওজিয়া বেগম ফেসবুক থেকে প্রায়ই জিনিসপত্র কেনেন। বড় বিপণি বিতানে কেন আগ্রহ নেই? ঢাকার কাঠালবাগানের ফওজিয়া বেগম বিভিন্ন ফেসবুক পাতা থেকে গত প্রায় দুই বছর ধরে প্রায়ই জিনিসপত্র কিনে থাকেন। ফওজিয়া বেগম বলছেন, ''আমি একজন গৃহবধূ হওয়ায় সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই সময়ের অভাবে চাইলেই মার্কেটে যাওয়া হয় না, আবার মার্কেটে গিয়ে অনেক সময় পছন্দ মতো জিনিসটিও সহজে পাওয়া যায়না। তাই ফেসবুক ব্যবহার করার সময় এরকম নানা জিনিস দেখতে পাই, রিভিউ পাই, তারা আবার সেটি বাসাতেও পৌঁছে দেয়। এ কারণেই ফেসবুক থেকে প্রায়ই নানা জিনিসপত্র কেনা হয়।'' পণ্য মান প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ''দুই একটি খারাপ অভিজ্ঞতা যে হয়নি, তা নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মান বেশ ভালো।'' উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এসব পণ্যের বেশিরভাগই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজার, ভারত, থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর থেকে সংগ্রহ করা হয়। তার সঙ্গে অল্প মুনাফা যোগ করে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি'র ভিত্তিতে বিক্রয় করা হয়। এরকম কয়েকশো ফেসবুক দোকানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন নানা ধরণের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে আরও পড়তে পারেন: যেভাবে পুলিশ তুলে নিল ইমরান সরকারকে সংকটের মধ্যে নগদ অর্থ ও গরু বাঁচিয়েছে কাতারকে আসিফ-শফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল যেভাবে দুই ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবের সময় তাদের বিক্রি-বাট্টা বহুগুণ বেড়ে যায়। বিক্রেতারা বলছেন, প্রচলিত দোকানের মতো প্রাতিষ্ঠানিক খরচ না থাকায় তারা কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, আর তাই ক্রেতারাও তাদের কাছে আসেন। কিন্তু পণ্য বিক্রির জন্য ফেসবুক কেন? এলমা খন্দকার এশা বলছেন, ''কার আইডি নেই ফেসবুকে? সবাই ফেসবুক ব্যবহার করছে। অনলাইনে অনেকের হয়তো ওয়েবসাইট আছে। কিন্তু সেজন্য সেখানে যেতে হবে, আলাদাভাবে যেতে হবে। কিন্তু সবাই যখন ফেসবুক ব্যবহার করে, তখনি আমার পণ্যটি তাদের চোখের সামনে সহজে চলে যাচ্ছে। তাই তাদের আমি সহজেই ধরতে পারছি।'' বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেসবুক ভিত্তিক এসব প্রতিষ্ঠানকেও তারা করের আওতায় আনার কথা ভাবছেন। তবে এই উদ্যোক্তাদের মতে, এই খাতটি সদ্য গড়ে উঠেছে। তাই কর আরোপের জন্য আগে আয়ের একটি সীমা নির্ধারণ করা উচিত, যাতে অন্তত স্বল্প আয়ের এরকম উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত না হয়ে পড়েন। | বাংলাদেশে গত ক'বছর ধরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ফেসবুক ভিত্তিক অনেক পাতা তৈরি হয়েছে, যেখানে নানা ধরণের পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে। এসব পণ্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগই নারী এবং যাদের অনেকে ছাত্রী বা গৃহবধূ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিদ্রোহের প্রায় এক সপ্তাহ পরে বিডিআর সদর দপ্তর গেটে বিডিআর সদস্যদের তল্লাশি করছে সেনা সদস্যরা। সে ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকেও হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নৃশংসতা ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, সে বিদ্রোহের পর থেকে কী শিক্ষা হয়েছে এসব বাহিনীতে? বিডিআর বিদ্রোহের পর সে বাহিনী পূর্ণগঠনের সময় সেটির নাম বদলে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) রাখা হয়। এছাড়া বাহিনীর ইউনিফর্মও পরিবর্তন করা হয়। কর্মকর্তারা মনে করেন, যে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে সেটিকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য এ দুটো পরিবর্তন জরুরী ছিল। কিন্তু সে ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সৈনিক এবং অফিসারদের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক। বিদ্রোহের ঘটনার একদিন পরেই বিডিআর-এর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ করা হয় তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুল ইসলাম। যিনি পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। মি: ইসলাম বলেন, নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, সৈনিক এবং অফিসারদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজে। আরো পড়ুন: 'জওয়ানরা উল্লাস করছিল কে কতজনকে মেরেছে' পিলখানা হত্যা: ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল 'পিলখানায় গিয়ে দেখি অস্ত্র গোলাবারুদ ছড়িয়ে আছে' বিদ্রোহের পর বিডিআর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মইনুল ইসলামকে, যিনি পরবর্তীতে লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর বর্ণনায়, "আমি ওদেরকে প্রায়ই বলতাম, তোমাদের সব আছে। তোমাদের খাওয়া আছে, বেতন আছে, অস্ত্র আছে। আমি জিজ্ঞেস করতাম, তোমাদের কী নাই? বললো, সৈনিক এবং অফিসারদের মধ্যে যে বিশ্বাস সে জিনিসটা চলে গেছে।" পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে অফিসার এবং সৈনিকরা পরস্পরকে প্রতিপক্ষ মনে করা শুরু করেছিল। সৈনিকদের কাছে যদি কোন গুলি ভর্তি অস্ত্র থাকতো, সেটি অফিসারদের মনে ভীতি সঞ্চার করতো। সৈনিক এবং অফিসারদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বিডিআর পোস্টগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি মেহেরপুর সীমান্ত পরিদর্শনের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। মি: ইসলাম বলেন, " উপরের কোন অফিসার বিওপিতে গেলে সকলে অস্ত্র নিয়ে নিজ-নিজ পজিশনে চলে যায়। এবং অস্ত্রের মধ্যে তারা গুলি নিয়ে যায়। সেখানে মেশিনগানের মধ্যে তার গুলি লাগানো। আমার সাথে যে এডিসি ছিল, সে আমার কাপড় ধরে টানতেছে। আমি বলি, কী ব্যাপার? এমন করছো কেন? সে বলে, স্যার মেশিনগানে গুলি লাগানো আছে। আমি তাকে বললাম সরে যাও।" "তারপর আমি মেশিনগানের সামনে গেলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সৈনিক মনোবল কেমন? এই মেশিনগানের গুলি কার জন্য? সে বলে, স্যার সীমান্তের ওপার থেকে কেউ যদি আসে তার জন্য। আমি বললাম, তোমরা তো এই ব্যবহার করলা নিজেদের অফিসারদের উপরে। এটা কেমন কথা? সে বললো, স্যার বড় ভুল হইছে," বলছিলেন মি: ইসলাম। বিদ্রোহের সময় বিডিআর সদস্যরা। বিডিআর বিদ্রোহ ও শিক্ষণীয় বিষয় বিডিআর বিদ্রোহের আগে সৈনিকদের তরফ থেকে কিছু লিফলেট বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি তৎকালীন বিডিআর-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। মইনুল ইসলাম বলেন, যে কোন সুশৃঙ্খল বাহিনীতে ছোট-খাটো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। "লিফলেটের ভাষা ছিল খুবই কঠোর। কুকুরের মতো গুলি করে মারা হবে। এই লিফলেটটাকে কেন এতো আন্ডার প্লে করা হলো?" তিনি মনে করেন, ছোটখাটো বিষয়গুলো আমলে নেয়া উচিত। বিচারের জন্য আদালতে নেয়ার সময় বিডিআর সদস্যরা। মি: ইসলাম বলেন, সৈনিকদের প্রতি অফিসারদের আচরণ কেমন হবে সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে বলে তিনি মনে করেন। "আপনাকে যদি আমি এক কাপ চা সাধি, আপনাকে যে চা দিয়ে গেল, হয়তো আমাদের কেউ রান্নাঘর থেকে চা দিয়ে গেল। চা যদি পছন্দ না হয় আপনি সেটা খাবেন না। অথবা আপনি বলতে পারেন, চা যে চিনি দেন বা চিনি বেশি হয়ে গেছে বদলী করে দেন। আপনি কি তাঁর মুখে চা ফেলে দেবেন? এটা হয়না কোন দিন। এ ধরণের ছোটখাটো ঘটনাগুলো ওভারলুক করা হয়েছিল," বলছিলেন মি: ইসলাম। এই ঘটনা থেকে একটি বড় শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, যারা নেতৃত্বে আছেন তারা অধীনস্থদের কথা শুনতে হবে। বিডিআর এর ডাল-ভাত কর্মসূচী নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সৈনিকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ ছিল বলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে। মইনুল ইসলাম বলেন, " সৈনিকদের সাথে লিডারের সম্পর্ক হবে আত্মিক। যখন এটা টাকা-পয়সার দিকে চলে যাবে, তখন একটা বাহিনীতে সমস্যার সৃষ্টি হবে।" জিম্মি কিশোরীর স্মৃতিতে ঢাকার পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টা | ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করলেও সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা হয়েছে ঢাকায় বিডিআর সদরদপ্তরে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সিরিয়ান শরণার্থী হাসান আল-কন্তার। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করা শুরু করলে হাসান আল-কন্তারের ঘটনাটি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ৩৭ বছর বয়সী হাসান আল-কন্তার শেষ দুই মাস ছিলেন মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশালায়। তার কানাডিয়ান পৃষ্ঠপোষকরা সেসময় তার মামলার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানায়। সোমবার সন্ধ্যায় কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবতরণ করেন তিনি। কানাডায় শরণার্থী হিসেবে তাকে আনার পেছনে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করে বৃটিশ কলাম্বিয়া মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন এবং কানাডা কেয়ারিং সোসাইটি নামক দু'টি প্রতিষ্ঠান। কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক লরি কুপার বিবিসিকে বলেন, "মি. কন্তারের অবস্থা থেকে বোঝা যায় সারাবিশ্বে শরণার্থীরা প্রতিনিয়ত কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।" "নিরাপদ একটি আবাস খুঁজে পাওয়া শরণার্থীদের জন্য দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে; মি. কন্তার ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন।" কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মি. কন্তারকে কানাডা নিয়ে আসার জন্য তহবিল সংগ্রহে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্য করেছে মানুষ। মি. কন্তারের মামলাটিকে আলোচনায় এনেছিল বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। মি. কন্তারকে যেন কানাডা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর অনলাইনে একটি গণ আবেদন দাখিল করে কানাডিয়ান কেয়ারিং সোসাইটি। ঐ গণ আবেদনে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছিল। আরো পড়তে পারেন: বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ: সামাজিক মাধ্যমের মন্তব্য সংসদ নির্বাচন: ক্ষোভ-অসন্তোষ জাতীয় পার্টিতে রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় যেভাবে আটকে গেলেন বিমানবন্দরে ২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত ছিলেন মি. কন্তার। সিরিয়ায় থাকতে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সেবা দান সম্পূর্ণ করেননি বলে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেন নি মি. কন্তার। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশে ফেরত গেলে জোরপূর্বক যুদ্ধে পাঠানো হবে - এই আশঙ্কায় সিরিয়া ফিরে যান নি তিনি। আরব আমিরাতেই অবৈধভাবে বসবাস করতে থাকেন তিনি। ২০১৬ সালে আরব আমিরাতে গ্রেফতার হন মি. কন্তার। ২০১৭'তে নতুন পাসপোর্ট পেতে সক্ষম হলেও তাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। মালয়েশিয়া পৃথিবীর কয়েকটি দেশের একটি যেখানে সিরিয়ানদের ভিসা ছাড়াই প্রবেশাধিকার দেয়া হয়। মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর তিন মাসের টুরিস্ট ভিসা পান মি. কন্তার। ঐ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তুরস্কে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেসময় তাকে বিমানে উঠতেই দেয়া হয় নি। এরপর মি. কন্তার কম্বোডিয়া গেলেও সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে মাসের পর মাস অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করেন মি. কন্তার। বিমানবন্দরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মীদের দান করা খাবার খেয়ে দিন পার করতেন তিনি। দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলের সু্য়েইদা এলাকার হাসান আল-কন্তার ইকুয়েডর আর কম্বোডিয়াতেও আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু দু'বারই ব্যর্থ হন তিনি। | প্রায় সাত মাস মালয়েশিয়ার একটি বিমানবন্দরে দিনযাপন করার পর কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন একজন সিরিয়ান। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্র দেশটির আণবিক প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা আলি আকবর সালেহী অবশ্য এই 'সন্ত্রাসী হামলার' জন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে দায়ী করেননি। তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ওই ঘটনায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে যে, এটা ইসরায়েলি সাইবার হামলার ফলাফল ছিল। তবে ওই ঘটনার ব্যাপারে সরাসরি কোন মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে ইসরায়েলের সতর্কবার্তার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। ইরানের এই ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন ২০১৫ সালের একটি পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজে সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়, যার মাধ্যমে রিঅ্যাক্টর ফুয়েলের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করা সম্ভব। তবে এই কর্মকাণ্ডকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির একটি লঙ্ঘন বলে দেখা হচ্ছে। কারণ ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধুমাত্র বিদ্যুৎ তৈরির জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন ও মজুদ করতে পারে। আরও পড়ুন: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত রবিবার ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপত্র রেহরোজ কামালভান্দি বলেছেন, রবিবার সকালে পারমাণবিক কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কে একটা ঘটনা ঘটেছে। তিনি যদিও বিস্তারিত জানাননি, তবে ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এতে কোন হতাহত বা লিকেজের ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংস্থাটির প্রধান আলি আকবর সালেহীর একটি বিবৃতি পাঠ করা হয়, যেখানে তিনি ওই ঘটনাকে 'নাশকতামূলক হামলা' এবং 'পারমাণবিক সন্ত্রাস' বলে বর্ণনা করেছেন। ''এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে আহবান জানাচ্ছে যেন তারা পারমাণবিক সন্ত্রাসের বিষয়টিকে মোকাবেলা করে।'' বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ''সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার রয়েছে ইরানের,'' তিনি বলেন। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার কথা শুনেছে তবে কোন মন্তব্য করেছি। গত বছরের জুলাই মাসে নাতানজ কেন্দ্রের সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা বলে দাবি করেছিল ইরান। কেন গুরুত্বপূর্ণ নাতানজ? তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে দেখা গেছে ইরান সম্মত হয়েছিলো যে কম মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে যা পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল উৎপাদন করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গত বছর ইরান এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এরপর ইরান নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'কঠোর লকডাউনে' আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন থাকবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের 'যৌনসঙ্গী' যোগানোর ব্যবসার খবর ফাঁস হয়েছিল যেভাবে জর্দান সঙ্কটের পেছনে কি সৌদি আরবের ভূমিকা আছে? কাশীতে মসজিদের ভেতর মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজতে সার্ভের বিতর্কিত নির্দেশ | ইরানের একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে 'অন্তর্ঘাতমূলক' হামলা হয়েছে বলে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর একদিন আগেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির নতুন যন্ত্রপাতির তথ্য প্রকাশ করেছিল দেশটি। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৫ সালে দিল্লির ইন্সটিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি-র বিজ্ঞানীরা তাদের এক গবেষণার ফলে জানান, ভারতের বাজারে চালু নোটগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে তাতে অন্তত ৭৮ রকম বিপজ্জনক মাইক্রোবের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন - যা থেকে মারাত্মক সব রোগ ছড়াতে পারে। এমনকি বাংলাদেশের একদল গবেষক গত বছরের অগাস্ট মাসে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশি কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রায় এমন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন, যা সাধারণত মলমূত্রের মধ্যে থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্রী নিশাত তাসনিম প্রায় ছয় মাস ধরে বাজারে প্রচলিত টাকা ও কয়েন নিয়ে গবেষণা করে বলেন, এসব মুদ্রায় তিনি ই-কোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন। ১৫টি উৎস থেকে নেয়া কাগজের টাকার নোট ও কয়েনে এক হাজারের চেয়ে আরো অনেক বেশি মাত্রায় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখেছেন তারা। এক হাজার মাত্রা পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াকে সহনশীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী টাকা নিয়ে করা ওই গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। এর আগে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, "এ পরীক্ষায় আমরা যা পেয়েছি তা জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ। কারণ সাধারণ ব্যাকটেরিয়া তো আছেই, সাথে পাওয়া গেছে মানুষের মল মূত্র থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক"। ফলে এসব মুদ্রার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। ড. চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমরা গবেষণা করে টাকায় বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া পেয়েছি যা মানুষের অন্ত্রে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি করে তাই এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। টাকা বা ডলারের ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক বিনিময়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শুধু একটি দেশের মধ্যে নয় বরং বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তার মতে, টাকা বা ডলারের ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক বিনিময়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শুধু একটি দেশের মধ্যে নয় বরং বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। "যেহেতু এটা সরাসরি মানুষ হাত দিয়ে ধরে, অনেক সময় মুখের থুথু নিয়ে কাউন্ট করে। তাই এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেখান থেকে এটা হতে পারে যদি মানুষ সে হাতে খায়, মুখে দেয়।" তিনি জানান, ভাইরাস বাহকের শরীরে সক্রিয় হয়, অন্যত্র নিষ্ক্রিয় থাকে। টাকায় থাকলে সে হয়তো নিষ্ক্রিয় থাকে, কিন্তু মানুষের সংস্পর্শে এলে সেটি করোনাভাইরাসের উপসর্গ বা রোগের সৃষ্টি করতে পারে, এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন আশঙ্কায় চলতি বছরের গতমাসে ভাইরাসে উপস্থিতি নিয়ে টাকা বা ব্যাংক নোট জীবাণুমুক্ত করার একটি উদ্যোগ দেখা যায় চীনে। দেশটিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সেখানে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে বাজার থেকে ব্যাংক নোট সরিয়ে নিয়ে তা আবার জীবাণুমুক্ত করে বাজারে ছাড়ে দেশটি। বাংলাদেশে অবশ্য এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ পর্যন্ত একশোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করলেও তাতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। মুদ্রার মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াবেন যেভাবে বিশ্বজুড়ে এমন আশঙ্কার পর বিশেষজ্ঞরা, ব্যাংক নোট এড়িয়ে স্পর্শবিহীন মাধ্যম বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা বা লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্পর্শবিহীন লেনদেন বা প্রযুক্তি বলতে, ব্যাংক নোট ছাড়া অন্য মাধ্যম যেমন কার্ড, বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ যেমন বিকাশ বা নগদ অথবা অন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেনের কথা বোঝানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো দেশ যেখানে প্রায় শতভাগ লেনদেন হয় ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সেখানে কিভাবে এই পরামর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা, ব্যাংক নোট এড়িয়ে স্পর্শবিহীন মাধ্যম বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা বা লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরণের পরামর্শ মেনে চলা কঠিন। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক নোট ব্যবহারের বিষয়ে তারা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। জাতীয় রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি তাই এখনই এ বিষয়ে বলাটা কঠিন। তবে যদি শনাক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি যাতে অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যাংক নোট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু পরামর্শের কথা বলছেন মাহমুদুর রহমান: আরো খবর: করোনাভাইরাস: ৫৪ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দিলো ইরান করোনাভাইরাস: শিশুকে যেভাবে রোগটি সম্পর্কে বোঝাবেন ‘আমি আমার মাকে যে কারণে বিয়ে করলাম’ দিল্লিতে যেভাবে মুসলমানদের বাড়িঘর টার্গেট করা হয় বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৪- অমর্ত্য সেন | ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | এই মোড়ে তৈরি করা হয় আবরারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্থাপনা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর প্রথম বার্ষিকীতে 'আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ'-এর ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে পলাশী মোড়ে ঐ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় 'আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ' নামের এই স্থাপনাটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার পর, কারা এটি ভেঙ্গেছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিশ্চিত করেছে, তাদের উদ্যোগেই স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: আবরার হত্যার যেসব কারণ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ আবরার হত্যার বিচার শুরু, আসামীদের বিরুদ্ধে যে তিনটি অভিযোগ নির্মাতারা স্তম্ভটিকে 'আগ্রাসন বিরোধী' স্তম্ভ নাম দিয়েছিলেন যে কারণে ভেঙ্গে ফেলা হল স্থাপনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের নিশ্চিত করেন যে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষই ঐ স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেয়ার কারণেই স্থাপনাটি সিটি কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলেছে বলে জানান মি. নাছের। তিনি বলেন, "ফুটপাতে, রাস্তায়, পাবলিক প্লেসে এরকম স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের কাছে শুরুতে অনুমতি পত্র দিতে হয়। এরপর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে সিটি কর্পোরেশন।" সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পুলিশের উপস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় ভেঙ্গে ফেলা হয় স্থাপনাটি "এরপর যারা স্থাপনা নির্মাণ করতে চায় তাদের ঐ কমিটির সামনে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। এসবের ভিত্তিতে কমিটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে ঐ স্থাপনাটি তৈরি করার অনুমতি দেয়া হবে, কি না।" তবে পলাশীর মোড়ে মঙ্গলবার রাতে স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপন করার ক্ষেত্রে এরকম কোনো পদক্ষেপই মানা হয়নি বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের। এছাড়া পলাশীর মোড়ের ঐ 'রাউন্ডঅ্যাবাউট' বা গোলচত্বরের ওপর কোনো ধরণের স্থাপনা তৈরি করলে যান বাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে বলে জানান মি. নাসের। স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপনের সাথে যুক্ত, বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা আখতার হোসেন নিশ্চিত করেন যে স্তম্ভ নির্মাণের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে এই স্তম্ভ ভেঙ্গে দেয়া হলেও ঢাকার বাইরে আরো কয়েকটি জেলায় আবরারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটে ছাত্রলীগের সদস্যদের নির্যাতনে মারা যাওয়া আবরার ফাহাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পলাশী মোড়ে তৈরি করা স্মৃতিস্তম্ভ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙ্গে দেয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা দেখা গেছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাও পাওলো শহর আগেভাগে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পেছনে দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আর অ্যামাজনে লাগা বুনো আগুনের ধোঁয়া ভূমিকা রেখেছে। ২০১৯ সালের ১৯শে অগাস্ট দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলোয় সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্বাভাস ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিটে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই পুরো শহরটি অন্ধকারে ছেয়ে যায়। এর পেছনে ছিল দুইটি কারণ। একটি হলো দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আর অ্যামাজনে লাগা আগুনের ধোঁয়া। ধারণা করা হয়, সাও পাওলোতে আসা ওই ধোঁয়া উড়ে এসেছে ২৫০০ কিলোমিটার দূরের অ্যামাজনের দাবানল থেকে। ভয়াবহতার প্রকোপ ব্রাজিলের পরিবেশ দপ্তর বলছে, অ্যামাজনের বনে দাবানলের ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অনেক সময় স্থানীয় কৃষকরা বন পুড়িয়ে চাষের জমি বের করার জন্যও বনে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবি গবেষণা করে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পেস রিসার্চ (ইমপে) দেখতে পেয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত অ্যামাজন বনে ৭২,৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আরো পড়ুন: বিপর্যয়ে পড়েছে পৃথিবীর 'ফুসফুস' অবৈধ খননে আমাজনের ক্ষতি মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে যে, ব্রাজিলের রাজ্য রোনডোনিয়া এবং অ্যার্কে এবং প্রতিবেশী বলিভিয়া এবং প্যারাগুয়ের বিশাল আগুন থেকে ধোয়ার উৎপত্তি হওয়ার পর সেটা দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে। এই সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি। দক্ষিণ দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে মিলে এই ধোঁয়া সাও পাওলো শহরের ওপর ভারী ও নিচু মেঘ তৈরি করে। মেঘের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কারণে ধোঁয়া আর বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারে না। আবহাওয়াবিদ মার্সেলো সেলুত্তি বিবিসিকে বলছেন, ''এটা যেন একটি প্যানের ভেতর ফুটতে থাকা উত্তপ্ত পানি আর তার ওপর একটি ঢাকনা বসিয়ে দেয়া। ফলে সরে যাওয়ার পরিবর্তে ধোঁয়া নিচু বায়ুমণ্ডলে আটকে পড়ে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উঁচু।'' আরেকজন আবহাওয়াবিদ জোসেলিয়া পেগোরিম বলছেন, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে যে, ব্রাজিলের রাজ্য রোনডোনিয়া এবং অ্যার্কে এবং প্রতিবেশী বলিভিয়া এবং প্যারাগুয়ের বিশাল আগুন থেকে ধোঁয়ার উৎপত্তি হওয়ার পর সেটা দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে আজ, শিবিরে আতঙ্ক ভিক্টোরিয়া যুগে ভারত কাঁপানো এক ‘সেক্স স্ক্যান্ডাল’ ভারতে কংগ্রেসের সাবেক মন্ত্রী চিদাম্বারম গ্রেফতার বখাটেপনার সঙ্গে চুলের ছাঁটের কী সম্পর্ক? সাও পাওলো শহরে সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্বাভাস ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিটে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই পুরো শহরটি অন্ধকারে ছেয়ে যায়। ''গত সপ্তাহের শেষের দিকে, বিশেষ করে শুক্রবারে, আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছি যে, ধোঁয়া দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে।'' সাও পাওলোর এই অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে, যখন ব্রাজিলের সরকার অ্যামাজন বন উজাড় হয়ে যাওয়া ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইমপের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে যে, ২০১৮ সালে সবমিলিয়ে ৭৫০০ কিলোমিটার বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের আপাত পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, অ্যামাজন বনাঞ্চল উজাড় হওয়ার এই হার প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর তিনগুণ হয়ে গেছে। বোলসোনারো ক্ষমতায় আসার পর ব্রাজিলে অ্যামাজন বনভূমি উজাড় হওয়ার হার অনেক বেড়ে গেছে শুধুমাত্র গত মাসেই ২২০০ কিলোমিটার বনাঞ্চল খালি করা হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ২৮০ শতাংশ হারে বেশি। প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো প্রকাশ্যে এসব তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এজেন্সির পরিচালক রিকার্ডো গ্যালভাওকে গত মাসে বরখাস্ত করে বিতর্ক আরো চাঙ্গা করে দিয়েছেন। ''আমার মনে হচ্ছে, এসব সংখ্যা বিশেষ উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে। যা মনে হচ্ছে সরকার এবং ব্রাজিলের ওপর আঘাত করার জন্য,'' পহেলা অগাস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তিনি বারবার গণমাধ্যমে দাবি করেছেন যে, ''অ্যামাজন আমাদের।'' আন্তর্জাতিক লড়াই গত কয়েকদিন ধরে জার্মানি এবং নরওয়ের সরকার ব্রাজিলের আমাজন ফান্ডে অর্থ অনুদান বন্ধ করে রেখেছে, যা অ্যামাজনের বনভূমি উজাড় হওয়া ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহায়তার অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া হতো। নরওয়ে ছিল এই তহবিলের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, যারা গত এক দশকে একশো বিশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পেস রিসার্চ (ইমপে) দেখতে পেয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত অ্যামাজন বনে ৭২ ৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ''তারা যেভাবে ভালো মনে করবে, সেভাবেই তাদের অর্থের ব্যবহার করতে পারে, ব্রাজিলের ওসবের দরকার নেই,'' প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছেন মি. বোলসোনারো। অ্যামাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রাজিলে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের জন্য এই বনভূমিটি রক্ষা করা বিশেষ প্রয়োজন, যা বিশাল পরিমাণে কার্বন শোষণ করে থাকে। তবে প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যেই ওই অঞ্চল থেকে সম্পত্তি আহরণের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ একটি বিশেষ এলাকা থেকেও সম্পদ আহরণের পক্ষে - যা দেশটির ১৯৮৮ সালের সংবিধানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এমন আইন করা হবে যেন অ্যামাজনসহ পরিবেশগত সুরক্ষা এলাকাগুলোয় খনি অনুসন্ধান ও কৃষি বিষয়ক কোম্পানিগুলো কাজের সুযোগ পায়। 'বনভূমি উজাড়ের লাইসেন্স' সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে 'ক্যাপ্টেন চেইনস' নামে ডাকছেন পরিবেশ কর্মীরা। কারণ হলো বনভূমি নিয়ে তার অবস্থান এবং ব্রাজিলের প্রধান পরিবেশ সংস্থা ইবামার তহবিল কমিয়ে দেয়া। গ্রিনপিসের মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেছেন, ''এটাকে বলা যেতে পারে কোনরকম শাস্তি ছাড়াই বনভূমি উজাড় করার লাইসেন্স দিয়ে দেয়ার মতো একটি ঘটনা।'' বোলসোনারো আরো সমালোচনার মুখে পড়েছেন, যখন তিনি আদিবাসী এলাকাগুলোর দায়িত্ব বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিরোধী আইন প্রণেতারা এটিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে যে, সরকার যেন শিয়ালকে মুরগি দেখাশোনার দায়িত্ব দিতে চাইছে। | অ্যামাজন বনে আগুন লাগার ঘটনা এ বছরে ৮০ শতাংশের বেশি বেড়ে গিয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় শহর সাও পাওলোকে ঢেকে দিয়েছিল। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান: হামলার ভিডিও দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন বলে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই ভিডিওটি দেখাচ্ছেন। এ মাসের শেষের দিকে তুরস্কে যে স্থানীয় নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন সামনে রেখে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। রোববার টেকিরডাগ শহরে এক সমাবেশে মিস্টার এরদোয়ান তার ভাষণ থামিয়ে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সংঘটিত হত্যাকান্ডের ছবি এক বিশাল পর্দায় ফেলে দেখান। এরপর তিনি বলেন, "বিশ্বের সব নেতা এবং সংস্থা, এদের মধ্যে জাতিসংঘও আছে, তারা এই হামলাকে ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলা বলে মনে করে। কিন্তু তারা কেউ বলছে না- এই হামলাকারী একজন খ্রীস্টান সন্ত্রাসবাদী।" তিনি আরও বলেন, "যদি হামলাকারী একজন মুসলিম হতো, তারা তাকে একজন ইসলামী সন্ত্রাসবাদী বলে বর্ণনা করতো।" হামলাকারী ঘটনা লাইভ দেখিয়েছিল ফেসবুকে। পরে ফেসবুক সেই ভিডিও সরিয়ে ফেলে। মি. এরদোয়ান ভিডিওটির যে অংশটি দেখিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, হামলাকারী মসজিদে ঢুকছে এবং গুলি চালাতে শুরু করেছে। ঐ হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং আরও অনেক মানুষ আহত হয়। মাথায় পরা হেলমেটে "গো-প্রো" ক্যামেরা লাগিয়ে ফেসবুকে এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ তৈরি হয় এই ভিডিও সরিয়ে নিতে। ফেসবুক জানিয়েছে, তারা পনের লাখ ভিডিও প্রথম ২৪ ঘন্টায় তুলে নিয়েছে। আর ভিডিওটির এডিট করা যে অংশগুলোতে সেরকম বিচলিত হওয়ার মতো দৃশ্য নেই, সেগুলোও তারা এখন ডিলিট করছে। তুরস্কে ৩১ মার্চ স্থানীয় নির্বাচন হবে। বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েন মনে করেন, এই নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য জনসভায় ভিডিওটি দেখিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তার সমর্থকদের উজ্জীবীত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছেন। হামলার ঘটনা বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। মি. এরদোয়ান তার ভাষণে বলেছিলেন, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার জন্য ব্রেন্টন ট্যারান্ট বলে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে একটি ইশতেহার প্রকাশ করে। সেই ইশতেহারে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তুরস্কের কথা এবং ইস্তাম্বুলের হাগিয়া সোফিয়ার কথা উল্লেখ ছিল। হাজিয়া সোফিয়া ছিল একসময় একটি গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ। অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তবে এটি এখন কেবল একটি যাদুঘর। রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চের এই হত্যাকারী দুবার তুরস্কে আসে ২০১৬ সালে। মোট ৪০ দিনের বেশি তুরস্কে ছিল। তার সেই সফরের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, "মুসলিমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের হামলা চালাতে পারবে না। কিন্তু যদি মুসলিমরা সংগঠিত না হয়, তারা এমন হামলা চালাতে পারবে। কাজেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা একে অন্যের দেখাশোনা করবো।" আরও পড়ুন: 'অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিলেন আমার স্ত্রী' ক্রাইস্টচার্চ হামলা: নিহত চারজন বাংলাদেশী কারা? ক্রিকেটারদের মানসিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ এই ভাষণের সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কামাল কিলিচডারুগলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যারা ইসলামকে ঘৃণা করে, তিনি তাদের পক্ষ নিচ্ছেন। তবে কামাল কিলিচডারুগলোর ধর্মনিরপেক্ষতাবদী সমর্থকরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আসলে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য এই ভিডিওটি ব্যবহার করছেন। এদিকে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেছেন, তিনি এ বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এই ভিডিওকে যে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। বিবিসির মার্ক লোয়েন বলছেন, তুরস্কের গণমাধ্যম, যারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারপন্থী, তারা এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকেই সমর্থন করছে। তারা দেখাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসলামোফোবিয়ার জোয়ার থেকে মুসলিমদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। তুরস্কের একটি পত্রিকার শিরোনাম ছিল এরকম: "আমরা নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন যারা, তাদের পাশে আছি, পশ্চিমা দুনিয়া নীরব।" আরেকটি পত্রিকায় একটি 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব'প্রকাশ করে দাবি করা হচ্ছে, পশ্চিমা নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির যোগসাজশ ছিল এই ঘটনায়। মার্ক লোয়েন বলছেন, মি. এরদোয়ানের আসলে নির্বাচনে জেতার জন্য যে রক্ষণশীল ধার্মিক ভোটারদের সমর্থন দরকার, তার এসব কথা-বার্তা তাদের খুশি করবে। কিন্তু অন্যদিকে আবার তুরস্কের সমাজের অপর অংশ, যারা ধর্মনিরপেক্ষ এবং পশ্চিমাপন্থী, তাদের ক্ষোভ এবং হতাশা আরও বাড়বে। | নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ভয়ংকর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কোন কোন গণমাধ্যম এই ভিডিওটি দেখানোর পর এর তীব্র সমালোচনা হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ইয়াগো রিয়েডিক ও শামীমা বেগম ছুটে গেছেন আই এসের স্বঘোষিত রাজধানী রাক্কায়, বছর চারেক আগে। সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি একজন জিহাদিকে বিয়ে করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলে জঙ্গি গ্রুপটি তাদেরই একজন ডাচ যোদ্ধা ইয়াগো রিয়েডিকের সাথে বিয়ের আয়োজন করে। তখন শামীমা বেগমের বয়স ছিল ১৫ এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মি. রিয়েডিকের ২৩। শামীমা বেগমের নিজের দেশ যুক্তরাজ্যে ১৫ বছরের কোন মেয়েকে বিয়ে করলে একজন পুরুষ ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতেন। মি. রিয়েডিকের বয়স এখন ২৭। বিবিসির সংবাদদাতা কোয়েন্টিন সমারভিল যখন তার সাক্ষাৎকার নেন তখন তিনি কুর্দিদের একটি শিবিরে বন্দী ছিলেন। সাক্ষাৎকার শুরু করার আগে কারারক্ষী তার হাতকড়া খুলে দিয়েছিল। মি. রিয়েদিক তখন বিবিসির সাংবাদিককে বলেন, "আপনার যদি শামীমার সাথে দেখা হয় তাহলে তাকে বলবেন আমি তাকে ভালোবাসি। তাকে ধৈর্য ধরতে বলবেন।" "আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা আবার একত্রিত হবো এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।" যদিও নিকট ভবিষ্যতে সেরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু তারপরেই তিনি রাকায় তার পারিবারিক জীবনের একটা বর্ণনা দেন। এই বিবরণে তিনি দাবী করেন, তার সংসার জীবন ছিল অন্তরীণ - কিন্তু ঘরের বাইরে তখন বয়ে যাচ্ছিল সন্ত্রাসের ভয়াবহ এক ঝড়। তিনি বলেন, এই দুটো জীবনকে তিনি আলাদা করে ফেলেছিলেন। বাইরে কী হচ্ছে এবং আই এসের অপরাধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার স্ত্রী শামীমা কিছুই জানতেন না। অবশ্য এ ব্যাপারে শামীমা বেগম নিজে ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, বোমা ও বিস্ফোরণের শব্দ পেতেন তিনি। রাস্তায় কাটা মাথা পড়ে থাকতেও তিনি দেখছেন এবং এসব তাকে কখনো বিচলিত করেনি। শামীমা বেগমের স্বামী ইয়াগো রিয়েডিক বলেন, "আমি তাকে সুরক্ষিত একটি আবরণের ভেতরে রেখেছিলাম। বাইরে কী হচ্ছে সে বিষয়ে আমি তাকে কোন তথ্যই দিতাম না। সমস্যা বা বিপদ য কিছু আসতো সেগুলো আমিই সামাল দিয়েছি।" "সে ঘরেই থাকতো এবং আমি যখন বাইরে থাকতাম সে ঘর সংসার সামলাতো।" তিনি বলেন, "আমার কাজ ছিল তাকে খাওয়ানো, নিজের খাওয়া জোগাড় করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, সমস্যা থেকে দূরে থাকা এবং গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর হাত থেকে নিজেদের জীবন রক্ষা করে নিরাপদে থাকা।" লন্ডনের একটি বিমানবন্দরের সিসিটিভিতে শামীমা বেগমের সিরিয়াতে চলে যাওয়ার ছবি। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন 'আইএস বধূ' শামীমা বেগম 'শামীমা বেগমের বিষয়টি বাংলাদেশের কোন বিষয় নয়' ‘আইএস বধূ’ শামীমা বেগমকে নিয়ে কেন এতো হইচই? সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব সাংবাদিক কোয়েন্টিন সামারভিল লিখেছেন, তিনি যখন শামীমা বেগমের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন তখন শামীমা তাকে বলেছিলেন যে এক সুন্দর জীবনের আশায় তিনি আই এসে যোগ দিয়েছিলেন। শামীমা বেগম তাকে বলেছিলেন, "যুক্তরাজ্যে বিয়ের ব্যাপারে আমার পরিবার আমাকে সাহায্য করতো না। কিন্তু তারা আমাকে দেখিয়েছিল ইসলামিক স্টেটে সংসার জীবন কতো সুন্দর হতে পারে।" "পরিবার ঠিক যেমন নিখুঁত হওয়া উচিৎ সেরকম। তারা আমার ও আমার পরিবারের দেখাশোনা করবে। এবং এটাই সত্য ছিল।" "শুরুতে তারা আমার ও আমার পরিবারের যত্ন নিয়েছিল। কিন্তু তারপরে সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে। তারা যাদেরকে হত্যা করেছিল তাদেরকে আমি দেখেছি। কিন্তু কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা আমি দেখিনি।" মি. রিয়েডিকের কাছে পৃথিবীটা ছিল মুন্ডুহীন মৃতদেহের এক পৃথিবী। আর ছিল আই এসের কারাগার এবং নির্যাতন। শামীমা বেগমও বলেছেন যে তিনি একটি ডাস্টবিনে মানুষের কাটা মাথা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। তার স্বামী ইয়াগো রিয়েডিক বলেছেন, ওই মাথাটা ছিল একটা ব্যাগের ভেতরে। আর ওই ব্যাগটা রাখা ছিল একগাদা নিহত বন্দীর লাশের উপরে। তাদের পরনে ছিল সামরিক পোশাক। তিনি বলেন, ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত এক নারীকে পাথর মারার এক ঘটনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, সেসময় ওই নারীর মৃত্যু হয়নি। তিনি উঠি দাঁড়িয়েছিলেন এবং দৌড়ে চলে গেছেন। "দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার মতো কিছু আমি দেখিনি। তবে এধরনের শাস্তির কথা আমি শুনেছি।" শামীমা বেগম বলেছেন, তার স্বামী আসলে কোন যোদ্ধা ছিলেন না। তবে মি. রিয়েডিক আই এসের হয়ে যুদ্ধ করতে কোবানিতে গিয়েছিলেন এবং যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন। তার পরে তিনি আলেপ্পোতেও যুদ্ধ করেছেন। শামীমা বেগমের ডাচ স্বামী ইয়াগো রিয়েডিক। মি. রিয়েডিক এখন বলছেন, "আমি খুব বড় একটা ভুল করেছি। আমার জীবন থেকে কয়েক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। এটা ঠিক আমার জীবন ছিল না।" "সৌভাগ্যবশত আমি সরাসরি কারো ক্ষতি করিনি। তবে আমি যে গ্রুপটিকে সমর্থন করে তাতে যোগদান করেছি সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি এও দাবি করেছেন যে তিনি অস্ত্রশস্ত্রও ব্যবহার করেন নি। তিনি বলছেন, এখন তিনি তার স্ত্রী শামীমা ও নবজাতক পুত্রকে নিয়ে নেদারল্যান্ডসে ফিরে যেতে চান। "আমি বুঝতে পারি, আমি যেটা করেছি সেটা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে। আমি যা করেছি সেটার দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। আমি আমার সাজা খাটবো। কিন্তু আমি আশা করছি যে একটি সংসার করার জন্যে আমি আমার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো।" কিন্তু শামীমা বেগম এবং ইয়াগো রিয়েডিক তাদের কারো কাছেই পাসপোর্ট নেই। নেই তাদের ভবিষ্যতের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণও। শামীমা বেগম নারীদের যে ক্যাম্পে আছেন তার স্বামীর জেলখানা থেকে সেটা খুব একটা দূরে নয়। তবে তাদের একসাথে হওয়ার সম্ভাবনাও এই মুহূর্তে চোখে পড়ছে না। আরো পড়তে পারেন: কাদেরকে দেখে চিকিৎসক দেবী শেঠি কী বলেছেন? হার্ট অ্যাটাক: যে বিষয়গুলো কখনো উপেক্ষা করবেন না ভারত-পাকিস্তান নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে কমেডিয়ান উত্তরায় গাড়িতে ডিম ছুঁড়ে ডাকাতির কৌশল, আটক ৯ | ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়ার পেছনে কী কারণ ছিল সেটা বলতে গিয়ে শামীমা বেগম বলেছেন, নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবনের খোঁজে তিনি ব্রিটেন থেকে সিরিয়াতে গেছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ি, বাংলাদেশে বর্তমান গড় আয়ু ৭২ বছর। এরপর পরবর্তী প্রায় সবকটি দশকে, একটি মাত্র ব্যতিক্রম ছাড়া, পাঁচ বছর করে বেড়েছে এখানকার মানুষের গড় আয়ু। এর মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে গড় আয়ু বেড়েছে সাত বছর। যদিও ২০১০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত গড় আয়ু বৃদ্ধি কিছুটা স্থবির হয়ে আছে। এ সময়ে গড় আয়ু মাত্র দুই শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আরো পড়ুন: দেখুন: আপনি কত দিন বাঁচবেন? ১০১ বছর বেঁচে থাকার ৭টি উপায় দেখুন: আপনি কতদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন কিন্তু প্রায় ছয় দশকে গড় আয়ু ৪৬ বছর থেকে ৭২ বছরে উঠে আসার পেছনে কোন ব্যাপারগুলো কাজ করেছে? ১৯৬০ থেকে '৭০ বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে প্রতি পাঁচ বছর ব্যবধানের হিসেবে দেখা যায়, ১৯৬০ থেকে '৬৫ সালে গড় আয়ু ৪৬ থেকে ৪৯ বছর হয়েছে। কিন্তু তার পরের পাঁচ বছরেই তা আবার খানিকটা কমে ৪৮ বছরে নেমে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক নুরুন্নবী ব্যাখ্যা করছিলেন, এই দশকে গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং কিছুটা কমার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রাণঘাতী মহামারী দেখা দিত যেসব অসুখে, চল্লিশের দশক থেকে পশ্চিমের দেশগুলোতে তার প্রতিষেধক আবিষ্কার ও ক্রমে ব্যবহার হতে শুরু করে। কিন্তু এ অঞ্চলে পৌছতে সেটার যে সময় লাগে, তাতে পার হয়ে যায় আরও প্রায় দুই দশক। সেজন্য ষাটের দশকের প্রথমার্ধ থেকে গড় আয়ু ক্রমে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু ১৯৭০ সালে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও তার ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্করতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি। অধ্যাপক নবী বলছেন, এরপরে ১৯৭০ এ গড় আয়ুর হার নেমে যায়। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ বিশ্বব্যাংকের এই পরিসংখ্যানে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গড় আয়ুর হিসাব দেয়া হয়েছে। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ে গড় আয়ু মাত্র এক বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় গড় আয়ু ছিল ৪৯ বছর। ঐতিহাসিক এবং লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, এই পাঁচ বছরে আয়ুর গড়ে খুব একটা পরিবর্তন না হবার মূল কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এবং দেশীয় সহযোগী বাহিনীর হাতে সরকারী হিসেবে নিহত হয় ত্রিশ লক্ষ মানুষ। এরপর ১৯৭৪ সালের এক দুর্ভিক্ষে সরকারি হিসাবে মারা যায় সরকারী হিসেবে প্রায় ২৭ হাজার মানুষ, কিন্তু বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা কয়েক লক্ষ। মূলত এই দুটি কারণে এই পাঁচ বছরে গড় আয়ু কম ছিল। এরপরে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮০ সালে দেখা গেছে আয়ু নিরুদ্বিগ্নভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৯ বছর থেকে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৫৩ বছরে। শিশুমৃত্যুর এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমে যাওয়া গড় আয়ু বাড়ার অন্যতম কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এই দশকে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ বছর, অর্থাৎ ৫৩ বছর থেকে সেটি ৫৮ বছর হয়েছে। বিশ্লেষক এবং লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ এজন্য বেশ কয়েকটি কারণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। এর মধ্যে প্রধান হলো- * এই দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়। একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয় এই দশকে। সেই সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোতে গড়ে ওঠে ক্লিনিক এবং পরীক্ষাগার। * যোগাযোগ অবকাঠামোর প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়, যে কারণে পরিবহন ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়। * প্রাইভেট সেক্টর বিকাশ লাভ করায় মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসাসেবার উন্নতিও বাংলাদেশে গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অধ্যাপক নবী বলছেন, এ সময়ে স্বাস্থ্য খাতে প্রভূত উন্নয়ন হওয়ার কারণে কেবল গড়া আয়ু নয়, এই সময়টিতেই শিশুমৃত্যু হার এবং মাতৃমৃত্যু হারও অনেক কমে যায় বাংলাদেশে। তিনি উল্লেখ করছিলেন ডায়রিয়ায় পানিশূণ্যতা ঠেকানোর ব্যপারে সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা ও তৎপরতায় শিশুমৃত্যুর হার অনেকটাই কমে আসে। একই সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তৃণমূল পর্যায়ে অনেক কাজ হয়। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ ও দেশীয় বেসরকারি সহ গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। আপনার সম্ভাব্য গড় আয়ু জানতে এখানে ক্লিক করুন ১৯৯০ থেকে ২০০০ বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে গত প্রায় ছয় দশকের মধ্যে এই দশকেই মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই দশকে গড় আয়ু বেড়েছে সাত বছর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর মূল কারণ আগের দশকের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক ধারাবাহিক কর্মসূচীর প্রভাব দেখা গেছে এ দশকেও। সেই সঙ্গে এই দশকেই দেশের বেসরকারি খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উন্নয়ন শুরু হয়, একই সঙ্গে কৃষিখাতেও একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। আর বেসরকারি সংস্থার সচেতনতামূলক কাজের জন্য তৃণমূল পর্যায়েও পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি পায়, যার পরিষ্কার ছাপ পড়ে গড় আয়ুর ওপর। কিন্তু এই দশকের শুরুতেই ১৯৯১ সালে একটি বড় জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যায়। এরপর ১৯৯৮ সালেও প্রবল বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। যেকারণে এত মৃত্যুর পরেও মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি পেয়ে গড় আয়ু বেড়েছে। বাংলাদেশে ১৯৬০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। ২০০০ থেকে ২০১০ বিশ্ব ব্যাংক বলছে, এই দশকেও গড় আয়ু বেড়েছে পাঁচ বছর, ৬৫ বছর থেকে ৭০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এই সময়ে গড় আয়ু বৃদ্ধির পেছনে মূলত মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বৃদ্ধি পাওয়া, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং ঘরের বাইরে কাজে নারীদের সম্পৃক্ততা বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়াকে কারণ মনে করা হয়। এসবের ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা নিতে প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিতে যাবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। অধ্যাপক নবী উল্লেখ করেন, এ দশকেই প্রথমবারের মত গড় আয়ুতে নারীরা পুরুষের চেয়ে এগিয়ে যায়। এর আগ পর্যন্ত সব সময় পুরুষদের গড় আয়ু বেশি ছিল। কিন্তু সাধারণত বিশ্বব্যাপী দেখা যায়, সবসময় নারীর গড় আয়ু বেশি হয়। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম ছিল, যা এই দশকে বদলে গেছে। এর পেছনে প্রাইভেট সেক্টরের প্রভূত অগ্রগতিকেই মূল নিয়ামক মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে কিভাবে ব্যায়াম করবেন ২০১০-২০১৮ এ সময়কালে গড় আয়ু বৃদ্ধি কিছুটা স্থবির হয়ে আছে। এ সময়ে গড় আয়ু মাত্র দুই শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। অধ্যাপক নবী বলছেন, এ সময়ে শিশুমৃত্যুর এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমে যাওয়ার ফলেই এ অগ্রগতি ঘটছে। কিন্তু তিনি আরও জানাচ্ছেন, এ সময়কালে বাংলাদেশের নারীদের প্রজনন ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে সামনের দিনে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডার্টি জোকস্ মেগানের উপর কি ঘনিয়েছে প্রিন্সেস ডায়ানার ছায়া? জামিন পেলেও এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা | বাংলাদেশে ১৯৬০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, প্রতিটি দশকেই এ হার বেড়েছে। এর মধ্যে কেবল ষাটের দশকের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৯৬৫ সাল নাগাদ যে বৃদ্ধি ঘটেছে, দশক শেষে মানে ১৯৭০ এ এসে তার কিছুটা অবনতি হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | আদালতের পথে গাড়িতে খালেদা জিয়া, (ফাইল ফটো)। হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঝুঁকির কিছু দেখতে পায় নি। এই মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদন রোববার হাসপাতাল এবং কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছে। তবে বিএনপি সরকারের গঠিত এই বোর্ডের কর্মকাণ্ডের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়াকে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি উপেক্ষা করে সরকার দলীয়দের দিয়ে ঐ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিসিন, হৃদরোগ, অর্থোপেডিক চক্ষু বিভাগের পাঁচ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডটি গঠন করেছিল সরকার। এই বোর্ডের সদস্যরা গত শনিবার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। পরদিনই রোববার তারা তাদের প্রতিবেদন হাসপাতাল এবং কারা-কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণে তার শরীরে নতুন কোনো গুরুতর রোগ বা উপসর্গ যোগ হয়নি। তার পুরনো যে আর্থ্রাইটিস রোগ রয়েছে, সে কারণেই তিনি অসুস্থ। মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে বলে ব্রিগেডিয়ার হারুন উল্লেখ করেছেন। "উনার নতুনভাবে কোনো রোগ আমরা সনাক্ত করতে পারিনি। উনার গেঁটে বাত আগে থেকেই রয়েছে। এটির ব্যথা মাঝে বাড়ে এবং কমে। এবং চিকিৎসকরা যেটা আমাকে বললেন এবং প্রতিবেদনেও উল্লেখ করেছেন, সেটি হচ্ছে, দুই হাতের এলবো জয়েন্টে তারপর হাঁটুতে, বাম পায়ের জয়েন্টে এবং বাম কাঁধের জয়েন্টেও ব্যথা একটু বেশি আছে। এছাড়া উনার এ্যালার্জির সমস্যা আছে। এগুলোর সবই নিরাময় যোগ্য।" "উনার হাইপারটেনশন বা হার্টের কোনো সমস্যা নেই। ডায়াবেটিসও নেই," বলেন তিনি। তবে মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কোনো চিকিৎসক না রাখায় এর সমালোচনা করে আসছিলেন বিএনপি নেতারা। এখন সেই মেডিকেল বোর্ডের কর্মকাণ্ড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিএনপি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে, ফাইল ফটো। আরো পড়তে পারেন: 'পরিবেশ দূষণে এক বছরে মারা গেছে ৮০ হাজার মানুষ' 'মুসল্লিদের আপত্তিতে' আটকে গেল জান্নাত সিনেমা চোট নিয়ে খেলছেন অনেকে: জুনিয়রদের ওপর অনাস্থা? দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাদের নেত্রীর সঠিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি বলে তারা মনে করেন এবং সেই বোর্ডের প্রতিবেদন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। "ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের বাদ দিয়ে শুধু সরকারি দলের সাথে সম্পর্কযুক্তদের নিয়ে এই বোর্ড করা হয়। সেটার প্রতি আমাদের যে বিশ্বাস বা আস্থা ছিল না তা আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু সরকার এটা বিবেচনা না করে একগুঁয়েমি করে এবং জেদ করে এই বোর্ড গঠন করেছে। আসলে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।" তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার বলছে, রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে এই বোর্ড গঠন করা হয়। এদিকে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের নেতৃত্বে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার দাবি করে আসছে বিএনপি। সপ্তাহ-খানেক আগে একটি দুর্নীতির মামলায় ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের ভিতরে অস্থায়ী আদালতে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়েছিল। এরপর বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলটির সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাদের নেত্রীর উন্নত চিকিৎসার একই দাবি করেছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই চিকিৎসার সুপারিশ করেছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার হারুন বলেছেন, বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা পত্র দেয়ার পাশাপাশি কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। "সমস্ত কিছু দেখে উনারা কিছু চিকিৎসা দিয়ে এসেছেন।এবং কিছু পরীক্ষা করতে বলেছেন। সর্বশেষে উনারা এমন একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছেন, যেখানে সব রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন।এবং সে ক্ষেত্রে উনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।" খালেদা জিয়া সরকারও যুক্তি দিয়ে আসছে যে, জেলকোড অনুযায়ী বেসরকারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ নেই। তবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখানে আইনের বিষয় নয়। সরকার একগুঁয়েমি থেকে তাদের দাবি উপেক্ষা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। "উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য যে দাবি তোলা হয়েছিল, সেটাতো সরকার করলো না।একগুঁয়েমি করে সরকার সব করছে। তাঁর যাতে ভাল চিকিৎসা না হয়, সেটাই সরকার চাইছে। এখন অবহেলা করবে, সেটাতো মেনে নেয়া যায় না।" খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত একাধিক চিকিৎসক অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন,তারা সরকারের মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সাথে একমত নন। তারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর। তবে তারা বলেছেন, এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া না হওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন। | বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে তার জন্য গঠিত সরকারি মেডিকেল বোর্ড। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় করতোয় নদীর নীচে একটি সাঁজোয়া যানের মতো বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পীরগঞ্জের সহকারী ভূমি কমিশনার নাশিদ কায়সার রিয়াদ, জেলা চেয়ারম্যান এনামুল হাদিত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতায়ুর রহমান, পীরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উদ্ধার না করা পর্যন্ত এটি ট্যাংক কিনা, তা বলা যাচ্ছে না বলে জানান পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, যদি এটি ট্যাংক হয়েও থাকে তাহলে সেটা কতোটুকু অক্ষত আছে সে বিষয়ে কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে, পীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ডার আব্দুস সাত্তার এবং এলাকার অন্যান্য প্রবীণদের মতে, এটি ১৯৭১ সালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ব্যবহৃত ট্যাংক। আরো পড়ুন: দুই দশকে কেমন ছিলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পথচলা? আত্মসমর্পণের আগে পাকিস্তানী সেনাদের মুহূর্তগুলো তারা জানান, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ৯টি ট্যাংকের একটি বহর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা হয়ে পীরগঞ্জে প্রবেশ করছিলো। করতোয়া নদী পার হওয়ার সময় একটি ট্যাংক টুকুরিয়া ইউনিয়নের দুধিয়াবাড়ী চরে প্রবল স্রোত ও চোরাবালির কারণে বালুর চরে আটকে যায়। শুক্রবার ট্যাংক সদৃশ ওই বস্তুর ব্যাপারে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সে সময় টানা তিন দিন চেষ্টা করেও সেটি তুলতে না পেরে মিত্রবাহিনীর সদস্যরা ওই ট্যাংকটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেই পীরগঞ্জে প্রবেশ করে। ৬ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ হানাদার মুক্ত হলেও ট্যাংকটি উদ্ধারের আর কোন চেষ্টা করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। তবে ভারতীয় সেনারা ট্যাংকটি উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ার পর যানটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গিয়েছিলো বলে জানা গেছে। শুক্রবার ট্যাংক সদৃশ ওই বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেলে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা-ডিজিএফআই এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা শিগগিরই এটি নদী থেকে উদ্ধারের সব ধরণের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। যদি এটি আসলেই মুক্তিযুদ্ধকালীন ট্যাংক হয় তবে এটি সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তারা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জাপানের সুমো কুস্তিতে নারীরা নিষিদ্ধ কেন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ভয়াল সে রাতের কথা বাসের চাপায় পা হারানো রোজিনা আর নেই | বাংলাদেশ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় করতোয় নদীর নীচে একটি সাঁজোয়া যানের মতো বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। শুক্রবার কাঁচদহ ঘাটের কাছে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় যানটির দেখা মেলে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পানির মতো অনেক জরুরি সম্পদ দ্রত কমে যাচ্ছে, কিন্তু অনেক বিষয়ে আমরা সচেতন নই আপনি হয়তো শুনেছেন যে, পানি, তেল বা মৌমাছির মতো নানা জিনিসের ঘাটতি ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর আরো অনেক সম্পদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে অথবা ঠিকমতো ব্যবহার না হওয়ায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। কিন্তু এগুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এখানে সেরকম ছয়টি বিষয়ের বর্ণনা করা হলো। ১. কক্ষপথে জায়গা কমে যাচ্ছে কক্ষপথে আবর্জনার সংখ্যা যত বাড়বে, আমাদের দরকারি স্যাটেলাইটের সঙ্গে সেগুলোর সংঘর্ষ হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত কক্ষপথে প্রায় পাঁচ লাখ বস্তু পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এর মধ্যে মাত্র ২০০০ আসলে কার্যক্ষম-স্যাটেলাইট, যা আমরা যোগাযোগ, জিপিএস বা আমাদের প্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোর দেখার কাজে ব্যবহৃত হয়। বাকি জিনিসগুলো রকেট নিক্ষেপণ এবং কক্ষপথে আগের নানা সংঘর্ষের ফলে তৈরি হওয়া আবর্জনা। কিন্তু তাতে সমস্যা কোথায়? আরো পড়ুন: পরিবেশ দূষণের কারণে কী কী রোগ হতে পারে? জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ-বান্ধব থেকেও যেভাবে হবেন স্টাইল আইকন কাগজের ব্যাগ কী প্লাস্টিক ব্যাগের চেয়ে পরিবেশ বান্ধব এই পাঁচ লাখ বস্তু এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়েছে-সেই সঙ্গে প্রতিদিনই কক্ষপথে নতুন নতুন জিনিস নিক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, কক্ষপথে কোন কিছু পাঠানো ততই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কক্ষপথে কোন ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যবস্থা নেই এবং কক্ষপথে থাকা এসব অপ্রয়োজনীয় এবং উচ্ছিষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কার করারও এখন পর্যন্ত কোন প্রযুক্তি নেই। ফলে এ ধরণের জিনিসে পৃথিবীর চারদিকের কক্ষপথ ক্রমেই ভরে যাচ্ছে। এগুলোর সংখ্যা যত বাড়বে, কক্ষপথে ব্যস্ততা যত বেশি হবে, তখন এসব বস্তুর সঙ্গে আমাদের দরকারি উপগ্রহগুলোর, যা আমাদের কাজে, নকশায়, মোবাইল ফোনের যোগাযোগ, আবহাওয়া নজরদারি কাজ করে-সেগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সমস্যার কোন সমাধান কারো কাছে নেই। ২. বালি প্রাকৃতিকভাবে যতটা তৈরি হচ্ছে, তার চেয়ে দ্রুত গতিতে আমরা বালু ব্যবহার করছি আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, বালির ঘাটতি তৈরি হওয়া কিভাবে সম্ভব যেখানে আমাদের সৈকত আছে, মরুভূমি ভর্তি বালু আছে? কিন্তু সত্যিটা হলো, বালি হচ্ছে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি তুলে নেয়া কঠিন পদার্থ- যার সঙ্গে নুড়িও থাকে। জাতিসংঘ বলছে, প্রাকৃতিকভাবে যে হারে বালু তৈরি হয়, আমরা তার চেয়ে অনেক বেশি হারে এর ব্যবহার করছি। প্রাত্যহিক নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, পানি বিশুদ্ধিকরণ, এমনকি কাঁচ ও মোবাইল ফোন তৈরিতে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু বালি কমে যাওয়ার ফলে ভঙ্গুর ইকো-সিস্টেমকে হুমকিতে ফেলছে, এ কারণে বিশ্বব্যাপী দাবি উঠেছে যে, এই নাজুক পদার্থটির অত্যধিক ব্যবহারের ব্যাপারে নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ৩. হিলিয়াম শুধু বেলুনে নয়, চিকিৎসায় দরকারি অনুসঙ্গ হিলিয়াম গ্যাস উৎসব করার সময় যখন বাতাস ভর্তি বেলুন আকাশে ছেড়ে দেন, সেটা নিয়ে খানিকটা অনুশোচনা করার সময় সম্ভবত এসে গেছে। হিলিয়াম গ্যাস সীমিত একটি সম্পদ, যা মাটির অনেক নীচ থেকে বের করে আনা হয়। আমাদের হাতে আর মাত্র কয়েক দশক সময় রয়েছে, যার মধ্যে এই গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। কোন কোন বিশেষজ্ঞ ধারণা করেন, এই গ্যাসের আর মাত্র ৩০ থেকে ৫০ বছরের মজুদ রয়েছে। হয়তো মনে হতে পারে, এতে না হয় বাচ্চাদের অনুষ্ঠানের মজা খানিকটা কমে যাবে। কিন্তু এর ক্ষতি আরো বড়। হিলিয়াম গ্যাস চিকিৎসায় খুব জরুরি একটি অনুসঙ্গ : এমআরআই করতে ব্যবহৃত চুম্বককে এই গ্যাস ঠাণ্ডা রাখে। এমআরআই হচ্ছে এমন একটি যুগান্তকারী রোগ নির্ণয়কারী ব্যবস্থা, যা ক্যান্সার, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আঘাত নির্ণয় করতে পারে। ৪. কলা কলা বিহীন ভবিষ্যত কি চিন্তা করতে পারেন? বাণিজ্যিক উদ্দেশে যে কলার চাষ করা হয়, তার বেশিরভাগই এখন 'পানামা ডিজিজ' নামের একটি ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা যে কলা খাই, তার বেশিরভাগ ক্যাভেন্ডিস জাতের, যা সরাসরি এসেছে একটি মাত্র গাছ থেকে-বাকিগুলো সব ক্লোন হয়ে এসেছে। ফলে কলা গাছের ভেতর পানামা রোগটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতীতেও এরকমটা ঘটেছে। ১৯৫০ সালে ঠিক একই রকমের একটি রোগে বিশ্বের কলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। তখন চাষিরা গ্রস মাইকেল জাত থেকে সরে এসে ক্যাভেন্ডিস জাতের কলা চাষ করতে শুরু করেন। বিজ্ঞানীরা এখন কলার নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যা এই ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করতে পারবে, সেই সঙ্গে কলার স্বাদও বজায় থাকবে। ৫. মাটি খাদ্য উৎপাদনে ভূমির ওপরের অংশ জরুরি যদিও আমাদের পৃথিবীর মাটি হঠাৎ করে পৃথিবী থেকে কোথাও পড়ে যাবে না, তবে অব্যবস্থাপনার কারণে এটি নিয়েও উদ্বেগের কারণ আছে। মাটির সবচেয়ে উপরের অংশ থেকে গাছপালা বা উদ্ভিদ তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করে। ডব্লিউডব্লিউএফ নামের একটি এনজিও- যারা বিশ্বের প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে- ধারণা করছে যে, গত ১৫০ বছরে বিশ্বের মোট ভূমির অর্ধেকের মতো উপরের মাটি হারিয়ে গেছে। কিন্তু এক ইঞ্চি জমি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হতে পাঁচশো বছর লাগে। নদী বা সাগরের ভাঙ্গন, ব্যাপক মাত্রায় কৃষিকাজ, বনভূমি উজাড় করা এবং বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই ওপরের মাটি হারিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়, যার ওপর বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনের বড় অংশটি নির্ভর করে। ৬. ফসফরাস ফসফরাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে, ভবিষ্যতে হয়তো কাঠি ঘষে আগুন জ্বালানো সহজ হবে না প্রথমে শোনার পর মনে হতে পারে যে, ফসফরাস কীভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জরুরি হতে পারে? কিন্তু মানব ডিএনএ গঠনের জন্য এটা শুধুমাত্র জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতেই যে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, বরং এটি কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত দরকারি একটি সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যার কোন বিকল্প এখনো জানা নেই। মাটি থেকে এসে উদ্ভিদ এবং পশু বর্জ্যের মাধ্যমে এটি আবার এটি মাটিতে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখন ফসলের সঙ্গে সঙ্গে ফসফরাস শহর এলাকায় চলে আসছে এবং শেষপর্যন্ত সেটি আমাদের পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাগরে গিয়ে মিশছে। যেভাবে এখন চলছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে, আমাদের বর্তমান ফসফরাসের খনিগুলো আর ৩৫ থেকে ৪০০ বছর পর্যন্ত যোগান দিতে পারবে। তারপরে হয়তো আমাদের বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করতে হবে। বিবিসি রেডিও ফোর থেকে সংগৃহীত আরো খবর: শেখ হাসিনা কেন হঠাৎ 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে' সজাগ হলেন কনেযাত্রী বরের বাড়িতে, বরকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন কনে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান কী একই র্যালিতে ট্রাম্প ও মোদী: পরস্পরকে ভূয়সী প্রশংসা | ঘাটতি তৈরি হওয়া বা অভাব বোধ করা এমন একটি অনুভূতি, আমাদের যার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে নানা কারণে। মাসল পুল কেন হয়, কাদের হয়: মাংসপেশিতে অতিরিক্ত টান খেলে বা টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন ফিজিওথেরাপিস্ট ড. আফরোজা সুলতানা। এতে শরীরের ওই অংশটিতে ভীষণ ব্যথা হয়। ল্যাকটিক অ্যাসিড নি:সরণের জন্য জ্বালাপোড়া করে। এ কারণে মাংসপেশি নাড়াচাড়া করা যায়না। মাসল পুলের প্রধান কয়েকটি কারণ হল: ১. শরীরের যেকোনো একটি মাংসপেশি অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহৃত হলে। ২. ব্যায়াম, খেলাধুলা বা যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে ওয়ার্মআপ বা শরীর গরম না করলে। ৩. পেশী ক্লান্ত থাকা অবস্থায় আকস্মিক নড়াচড়া করলে। ৪. হঠাৎ অতিরিক্ত ভারী কিছু ওঠালে। ৫. পেশীর অতিরিক্ত ও অনুপযুক্ত ব্যবহার। ৬. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। ৭. অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে পানি কম খেলে এবং শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে। যারা অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করে থাকেন যেমন অ্যাথলেটরা মাসল পুলের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যারা দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটারের সামনে কিংবা চেয়ারে বসে কাজ করেন কিংবা লম্বা সময় যানবাহন চালান, তাদের কাঁধ, ঘাড়, পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ডা. আফরোজা সুলতানা। কখন বুঝবেন মাসল পুল হয়েছে: ১ যদি পেশীতে অনেক ব্যথা হয়। পেশী অনেক দুর্বল হয়ে যায়। ২. আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাটি যদি ফুলে ওঠে বা লালচে দাগ পড়ে যায়। ৩. যদি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে স্বাভাবিক ওজন নিতে কষ্ট হয়। ৪. মাংসপেশি আপনা আপনি অনেক শক্ত হয়ে পড়লে। মাসল পুল হলে কি করবেন: ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার তথ্য মতে, মাংসপেশিতে টান খাওয়ার প্রথম কয়েকদিন চারটি ধাপে এর চিকিৎসা করতে হবে। যাকে সংক্ষেপে রাইস থেরাপি বলা হয়। এর মাধ্যমে ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। রাইস থেরাপির ৪টি ধাপ হল: রেস্ট, আইস, কমপ্রেশন ও এলিভেট। ১. রেস্ট বা বিশ্রাম: সব ধরণের শারীরিক ব্যায়াম বা ক্রিয়াকলাপ বন্ধ রাখতে হবে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কখনও কোন ওজন নেয়া যাবেনা। ২. আইস বা বরফ - আঘাতের স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিটের জন্য বরফের ব্যাগ দিয়ে রাখুন। ৩. কমপ্রেশন সংকোচন - আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটির নাড়াচাড়া নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে। ৪. এলিভেট বা উঁচু করা - অর্থাৎ আঘাতের স্থানটি যতটা সম্ভব বালিশের উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে। মাংসপেশির ফুলে ওঠা প্রতিরোধে কোন অবস্থাতেই আঘাত পাওয়ার প্রথম কয়েকদিন ওই স্থানে গরম সেক দেয়া বা গরম পানি দেয়া এড়িয়ে যেতে হবে। এছাড়া আঘাতের স্থানে কোন অবস্থাতেই মালিশ করা যাবেনা। যখন আপনি ক্ষতস্থানটি স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারবেন। খুব একটা বেশি ব্যথা নেই। তখন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক কাজ করার চেষ্টা করুন। নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করুন যাতে জয়েন্ট বা পেশী শক্ত না হয়ে যায়। রাইস থেরাপির ৪টি ধাপে মাসল পুলের ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়। চিকিৎসা: মাংস পেশিতে টান পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে মনে করেন ডা.আফরোজা সুলতানা। বিশেষ করে, মাংসপেশিতে অতিরিক্ত ব্যথা হলে, ব্যথায় জ্বর উঠে গেলে, কয়েকদিন পরও সেই ব্যথা না কমলে, মাংসপেশির ফুলে ওঠা না কমলে বা বাড়লে, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, মাথা ঘুরতে থাকলে, শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে কাঁপতে থাকলে বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে কোন অবস্থাতেই দেরী করা যাবেনা। মাসল পুল হওয়ার পর পেশির ওই অংশ যদি টান টান করতে গিয়ে ব্যথা পান, তাহলে সেই চেষ্টা আর করা যাবেনা। এতে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে বলে জানান মিসেস সুলতানা। অনেক সময় মচকানোর এই প্রভাব সাত দিন থেকে শুরু করে ছয়মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পরিস্থিতি গুরুতর হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হতে পারে বলেও তিনি জানান। প্রাথমিক অবস্থায় ক্ষতস্থানে তাৎক্ষণিক ব্যথা কমানোর জন্য এনেস্থেটিক ক্রিম, জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা হয়। পরিস্থিতি স্বাপেক্ষে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হতে পারে। এরপর বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে মাসল পুলের কারণ ও মাত্রা জানার চেষ্টা করেন বিশেষজ্ঞরা। মাংস পেশিতে টান পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রথমত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য অর্থাৎ সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে সমস্যা থাকলে রোগীকে বিশ্রামের পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, কিশমিশ এবং মিনারেলস জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়া আলট্রাসাউন্ড ইমেজিং এক ধরণের শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে সারা শরীরের পেশী, রগ, লিগামেন্ট, স্নায়ু এবং জয়েন্টগুলির ছবি ধারণ করে থাকে । এটি মূলত পেশিতে আচমকা টান খাওয়া, মচকানো টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়া, স্নায়ুতে বাধা, বাত বা পেশী সংক্রান্ত অন্যান্য যেকোনো সমস্যা নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় চিকিৎসকরা আক্রান্ত স্থান বিশেষভাবে ব্যান্ডেজ করে ক্রাচ নিয়ে চলার কথাও বলে থাকেন। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ফিটনেস সেন্টারে ফিজিওথেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। আরও পড়তে পারেন: নারীরা কেন পুরুষদের চাইতে বেশি বাঁচে? যৌন আসক্তি বলে কি সত্যিই কিছু আছে? ডিজিটাল যুগের শিশুরা কি কলম ধরা ভুলে যাচ্ছে? মাসল পুল এড়াতে কি করবেন: ১. যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে বা ভারী কিছু তোলার আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে মাংসপেশিগুলোকে সচল করে নিতে হবে। ২. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ৩. দীর্ঘক্ষণ না বসে, ৪০ মিনিট বা এক ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিট কিছুক্ষণ পায়চারি করতে হবে। ৪. প্রচুর পানি পান করতে হবে। বিবিসি নিউজ বাংলার স্বাস্থ্য সিরিজের এটি তৃতীয় পর্ব। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরো প্রতিবেদনের জন্য চোখ রাখুন বিবিসি বাংলার অনলাইন পাতায়- বোবায় ধরা কী, কেন হয়, পরিত্রাণ পাবেন কীভাবে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান কী | মাংসপেশিতে টান পড়া বা শরীরের কোন অংশ মচকানো বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। যাকে বিশেষজ্ঞের ভাষায় মাসল পুল, মাসল সোরনেস, স্ট্রেইন, স্প্রেইন, ক্র্যাম্প, স্প্যাজম ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে পল পগবা ফরাসী জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। ইসলাম সম্পর্কে ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি ফ্রান্সের হয়ে আর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবেন না- এমন একটি খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এভাবেই তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান। ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার এই খবরটিকে "একেবারেই ভুয়া" খবর বলে উল্লেখ করেছেন। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জয় করেছেন পগবা। তিনি একজন মুসলিম। জাতীয় দলের হয়ে মোট ৭২টি ম্যাচ খেলে তিনি ১০টি গোল করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেও ফরাসী দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। ফ্রান্সে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যার পরেই মুসলিমদের সংখ্যা। ধারণা করা হয় যে দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ মুসলিম বসবাস করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে 'আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়লেন পগবা', 'ফ্রান্সের জার্সিতে আর খেলবেন না পগবা'- এধরনের শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়। একই সাথে সোশাল মিডিয়াতেও এই খবর ভাইরাল হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর অভিযোগে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে বাড়ি ফেরার পথে গলা কেটে হত্যা করার পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করেন। ইসলাম ধর্মকে তিনি "আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস" হিসেবে উল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বে। এর পরেই ফরাসী সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশে। কয়েকটি দেশে ফরাসী পণ্য বর্জনেরও ডাক উঠেছে। বিক্ষোভ হয় লিবিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশেও। তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফরাসী প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও আহবান জানিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে পল পগবার পোস্ট। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবরগুলোতে বলা হয়, মুসলিম বিশ্বের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে পল পগবা ফরাসী দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পরে পল পগবা বলেন, "আমার সম্পর্কে ১০০% ভিত্তিহীন খবর চারদিকে ছড়ানো হয়েছে। তাতে এমন জিনিস বলা হয়েছে যা আমি কখনো বলিনি, ভাবিনি।" সোশাল মিডিয়া ইন্সটাগ্রামে তিনি এবিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিখেছেন, এই খবরে তিনি "স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও ধাক্কা খেয়েছেন।" তিনি বলেন, কোন কোন সংবাদ মাধ্যম "ফরাসী জাতীয় দল ও আমার ধর্ম একসাথে মিশিয়ে ভুয়া খবর তৈরি করেছে।" ইন্সটাগ্রামে পল পগবার অনুসারীর সংখ্যা চার কোটি ২০ লাখেরও বেশি। ফরাসী প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বিষয়ে পল পগবা কোন মন্তব্য করেননি। তবে ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, "আমি সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।" ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, "আমার ধর্ম শান্তি ও ভালোবাসার এবং এই ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে হবে।" হজ করছেন পল পগবা। আরো পড়তে পারেন: ওমরাহ করার জন্য সবচেয়ে দামী ফুটবলার এখন মক্কায় পল পগবা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন নি। তবে তার মা ছিলেন মুসলিম। ২০১৯ সালে পগবা জানান যে তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি এর আগে বলেছিলেন, "আরো ভাল মানুষ হওয়ার জন্য তিনি মুসলিম হয়েছেন।" মুসলিম বলতে কী বোঝায়- দ্য টাইমসের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, "এটা সবকিছু। এই ধর্ম আমাকে পরিবর্তন করেছে, জীবনের অনেক কিছু আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমার ধারণা এটা আমার ভেতরে আরো বেশি শান্তি নিয়ে এসেছে।" তিনি বলেন, "আমার জীবনে এটা একটা ভাল পরিবর্তন।" "ইসলামকে প্রত্যেকে যেভাবে দেখে-সন্ত্রাস-ইসলাম সেরকম নয়। মিডিয়াতে আমরা যা শুনি সেটা ভিন্ন বিষয়। এটা খুব সুন্দর একটি ধর্ম। এবিষয়ে আপনাকে জানতে হবে।" ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে পল পগবা। ফরাসী দল ছাড়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পগবা লিখেছেন, "কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম আছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যারা সংবাদ তৈরির সময় দায়িত্বশীল থাকে না। তারা সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অপব্যবহার করে।" "তারা যে খবরটি লিখে বা তৈরি করে তার সত্যতা যাচাই করে দেখে না। এই খবরটি মানুষের এবং আমার জীবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সেটা না ভেবেই তারা গুজব ছড়িয়ে দেয়," বলেন তিনি। পল পগবা বলেন, "যারা এই ১০০% ভুয়া খবরটি প্রকাশ করেছে এবং ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।" ২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে পল পগবা ফরাসী জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন। এর আগে খেলেছেন ইতালিয়ার ক্লাব ইওভেন্টাসে। পল পগবা ছাড়াও আরো কিছু মুসলিম ফুটবলার আছেন ফরাসী দলে তাদের মধ্যে অন্যতম তারকা কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়াও রয়েছেন ওসমান ডেমবেলে, এন'গোলো কান্টে, আদিল রামি, জিবরিল সিদিবে, নাবিল ফেকিরসহ আরো অনেকে। | ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের মিডফিল্ডার পল পগবা বলেছেন, তার সম্পর্কে যারা ভুয়া খবর ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থ বছরের বাজেট পেশ করার সময় তামাক এবং মোবাইল ফোন ছাড়া অন্যসব করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করবেন। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে বড় অংকের ঋণ জালিয়াতি এবং দুর্নীতির পরও দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা না করে এই খাতকে নানান সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এরপরও গ্রাহকের জন্য ঋণের সুদের হার বেড়েই চলেছে। সরকার বলছে, ব্যাংক খাতে কিছু সমস্যার কারণে তাদের এখন সাহায্য প্রয়োজন হয়েছে। ব্যাংক খাতের সংকট কমাতে সরকার এখন এই খাতের করপোরেট কর কমাচ্ছে। এরআগে গত কয়েকমাসে তাদের বেশ কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে পরিমাণ নগদ অর্থ অবশ্যিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হয়, তার হার কমানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসেছিল গত এপ্রিলে ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে।অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মাকর্তাদের ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সাথে হোটেলে ঐ বৈঠক নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এরপরে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কিছু সুবিধা নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ঋণে সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা কমেনি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থ বছরের বাজেট পেশ করার সময় তামাক এবং মোবাইল ফোন ছাড়া অন্যসব করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করবেন। আরও পড়ুন: যেভাবে পুলিশ তুলে নিল ইমরান সরকারকে বাংলাদেশ ক্রিকেট: আফগান বিপর্যয় নিয়ে তোলপাড় আসিফ-শফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল যেভাবে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি'র নির্বাহি পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছিলেন, ব্যাংক খাতে বিশৃংখলা বা বড় অংকের ঋণ জালিয়াতির সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা না করে এই খাতে একের পর এক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। "দেখা যাচ্ছে যে, খারাপ ব্যাংকগুলোকে শাস্তি দেয়ার বদলে তাদের বিভিন্ন ধরণের উৎসাহই দেয়া হচ্ছে।ইনসেনটিফ দেয়া হচ্ছে। ব্যক্তি মালিকানার ব্যাংকগুলো সরকারি বিভিন্ন অর্থের ২৫%রাখা হতো। এখন সেটা ২৫% থেকে ৫০% বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলোতো বিভিন্ন ধরণের উৎসাহই। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বার বার বলার পরও সুদের হারের উর্ধ্বগতি তারা কমাতে পারছে না।" তিনি আরও বলেছেন, "ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করার জন্য যে প্রচেষ্টা, সেটাতো চাঙ্গা হচ্ছে না। এর বিনিময়ে সাধারণ জনগণ আসলে কী পাচ্ছে?" ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট এখনও কাটেনি গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী, জনতা এবং বেসিক ব্যাংকের বড় অংকের ঋণ কেলেংকারির ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক তাদের আমানতের চেয়ে অনেক বেশি ঋণ দিয়ে সংকটে পড়েছে। তাদের এই সংকটের প্রভাব পুরো ব্যাংক খাতেই পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা বলছেন, এসব ঘটনায় মামলাগুলোর কোনো কোনোটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে ঠিকই।কিন্তু দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যাংকগুলো গ্রাহক সেবার প্রতি নজর দিচ্ছে না বিশ্লেষকরা মনে করেন। ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলছিলেন, গ্রাহক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় খেলাপী ঋণ বা খারাপ ঋণ বাড়ছে। "ব্যাংকিং ল (আইন) একটু রিভিজিট করা দরকার বলে আমি মনে করি।কারণ এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি বা অর্থ মন্ত্রনালয়ের ইনভল্বমেন্ট, অল টুগেদার আমাদের ইন্টারেস্ট রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে।" "একজন নতুন যদি উদ্যোক্তা হয়, সে কিন্তু ঋণটা নিয়ে এই ১৩, ১৪ বা ১৫ শতাংশ সুদে তা ফেরত দিতে পারবে না।তখন খারাপ ঋণ বাড়বে।" তবে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের একজন নেতা শহিদুল আহসান বলেছেন, সরকার তাদের যেসব সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছে,সেগুলো এখনও পুরো বাস্তবায়ন না হওয়ায় গ্রাহক ঋণের সুদের হার বাড়ত থাকছে। "সরকারি করপোরেশনের যে অর্থ পাওয়ার কথা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে না।আর সরকার অর্থ যেভাবে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল, সেগুলো এখনও দেয়া হচ্ছে না।ফলে সুদের হার এখনও কমেনি।" অন্যদিকে, সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ে ব্যাংক মালিকদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টিরও অভিযোগ করেছন বিশ্লেষকরা। মালিকরা এবং সরকার তা অস্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড: মশিউর রহমান বলছিলেন, ব্যাংক খাতের কিছু সমস্যার জন্য তাদের কিছুটা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। "ব্যাংকের এই সময় অনেকরকম অসুবিধার মধ্যে গেছে।সেজন্য তাদের কিছুটা রিলিফ দরকার।ব্যাংকের ট্যাক্স যদি কমায়, তাহলে সর্বোতোভাবে গ্রাহক সেবা বাড়বে এবং সুদের হার কমবে। আগে যে ডিপোজিট ব্যাংকগুোকে দিয়েছে, তা থেকে এখন ঋণ দিচ্ছে, সেকারণে সুদের হার বেশি আছে। নতুন ডিপোজিট থেকে ঋণ দেয়া হলে তখন সুদ কমবে।" মালিকপক্ষ এবং সরকার বলছে, এখন অল্পসময়ের মধ্যে ব্যাংকের ঋণ সুদের হার কমবে। তবে বিশ্লেষকদের তাতে সন্দেহ রয়েছে। | বাংলাদেশ সরকার ব্যাংক খাতের করপোরেট করহার ২.৫% কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশে পদ্মার বুকে চর জেগে উঠেছে, যার জন্য ফারাক্কাই দায়ী বলে ধারণা করা হয় তখন থেকেই বাংলাদেশে এই দিনটি 'ফারাক্কা লং মার্চ দিবস' হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যদিও বিগত পাঁচ দশকে ফারাক্কা নিয়ে ভারতের অনড় অবস্থানে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু খুব সম্প্রতি ভারতেও ফারাক্কার বিরুদ্ধে জনমত জোরালো হচ্ছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তো ফারাক্কা ব্যারাজ ভেঙে ফেলারও প্রস্তাব করেছেন। মেধা পাটকরের মতো অ্যাক্টিভিস্ট ও অনেক বিশেষজ্ঞও বিবিসিকে বলছেন, ভারতেও ফারাক্কা এখন সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি ঘটাচ্ছে - কাজেই এটি অবিলম্বে 'ডিকমিশন' করা দরকার। বস্তুত সাতের দশকের মাঝামাঝি ভারত যখন গঙ্গার বুকে ফারাক্কা ব্যারাজ চালু করেছিল, তার পর থেকে বিতর্ক কখনওই এই প্রকল্পটির পিছু ছাড়েনি। আরো পড়তে পারেন: মশা আমদানি করে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোর উপায় সর্পদংশন: 'হাতটা যেন হাতুড়ির আঘাতে চুরমার হয়ে যাচ্ছে' উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে কার হেফাজতে দেয়া হবে? মেধা পাটকর ফারাক্কা থেকে মাত্র বিশ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যেমন এই ব্যারাজের মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে - তেমনি ভারতেও কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ফারাক্কা নানা ধরনের বিপদ ডেকে এনেছে। বিহারের গাঙ্গেয় অববাহিকায় প্রতি বছরের ভয়াবহ বন্যার জন্য ফারাক্কাকেই দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তো এই বাঁধটাই তুলে দিতে বলেছিলেন। ভারতে নামী সংরক্ষণ অ্যাক্টিভিস্ট ও নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটকর বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "একটা বাঁধের প্রভাব যদি খুব ধ্বংসাত্মক হয়, ফারাক্কাতে যেটা হয়েছে, তাহলে সেটা ডিকমিশন করার অসংখ্য নজির কিন্তু দুনিয়াতে আছে।" "আমেরিকাতেও শতাধিক ড্যাম ভেঙে দিয়ে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।" "নীতিশ কুমার ফারাক্কা ভাঙার প্রস্তাব দিলেও সে ব্যাপারে বিশেষ কিছু করেননি, সত্যিকারের সোশ্যালিস্ট রাজনীতিতে বিশ্বাস করলে তারও এতদিনে গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।" বিহারের গাঙ্গেয় অববাহিকায় বন্যা প্রায় প্রতি বছরের রুটিনে পরিণত সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ড্যামস, রিভার্স অ্যান্ড পিপলের কর্ণধার ও নদী-বিশেষজ্ঞ হিমাংশু ঠক্করও জানাচ্ছেন, একটা বাঁধ ডিকমিশন করার আগে কয়েকটা জিনিস খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয় - দেখতে হয় লাভ-ক্ষতির পাল্লাটা কোন দিকে ভারী। "ফারাক্কার ক্ষেত্রে সেই স্টাডিটা এখনও শুরু করা হয়নি। কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট - ফারাক্কার মূল উদ্দেশ্য যেটা ছিল সেই কলকাতা বন্দরকে কিন্তু আজও বাঁচানো যায়নি।" "কলকাতা বন্দর টিঁকিয়ে রাখতে আজ যে পরিমাণ ড্রেজিং করতে হয়, ফারাক্কা চালু হওয়ার আগেও ততটা করতে হত না। এটাকে একটা প্রতীক ধরলে ফারাক্কা তো ভেঙে ফেলাই উচিত", বলছেন হিমাংশু ঠক্কর। মি ঠক্কর আরও জানাচ্ছেন, ফারাক্কায় গঙ্গার ওপর রেল ও সড়ক-সেতু এখনকার মতো রেখে দিয়েই ব্যারাজটা সরিয়ে দেওয়া সম্ভব - ইউরোপ আমেরিকাতে তা অনেক জায়গাতেই হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ সুমনা ব্যানার্জিও বলছিলেন, ফারাক্কার জন্য গঙ্গায় এত বেশি পলি জমছে যে তাতে দুপারের জমি ভাঙছে, জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কথায়, "প্রতি বছরই আমরা ফিল্ড ট্রিপে সেখানে যাই। পাঁচ-ছবছর আগে যখন মালদার পঞ্চানন্দপুরের ভাঙন খতিয়ে দেখতে যাই, তখন দেখেছিলাম ফারাক্কার বুকে মাঝগঙ্গাতেও কিন্তু বক দাঁড়িয়ে আছে।" "এই ছবিটাই বলে দেয় গঙ্গাতে কী পরিমাণ সিল্টেশন জমছে বা সেডিমেন্টেশন হচ্ছে। আর সেই সিল্টেশন ঠেকানোর ক্ষমতা যদি ফারাক্কার না-থাকে, তাহলে তো গোটা ব্যারাজটাই অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়, তাই না? "আমরা ফারাক্কাকে এই অবস্থাতেই ফেলে রেখেছি যেখানে এত বিপুল পরিমাণ সেডিমেন্টেশন হচ্ছে যে নদীর চ্যানেলটার আর জল ধরে রাখার ক্ষমতা নেই - আর সেটা দুপারে উপছে পড়ছে।" "স্থানীয় একজন গ্রামবাসী সুন্দর উপমা টেনে বলেছিলেন, সাপের মুখটা জোরে ধরে রাখলে সাপটা যেমন ছটফট করে, নদীটাও এখানে সেভাবে ছটফট করছে। আর সাপের মুখটা ধরে রাখা হচ্ছে এই ফারাক্কা ব্যারাজ!" মেধা পাটকরেরও কোনও সংশয় নেই, ভারতের জন্যও ফারাক্কা এখন যত না উপযোগী - তার চেয়ে অনেক বেশি ধ্বংস ডেকে আনছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা উর্মিলা দাস দেখাচ্ছেন গঙ্গার ভাঙনে কীভাবে তিনি ভিটে হারিয়েছেন তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, "না ভাটিতে, না উজানে - ফারাক্কার প্রভাব কোথাওই সুখকর হয়নি। বলা হয়েছিল ফারাক্কা বন্যা রুখতে পারবে, অথচ দেখা গেছে বন্যা আর খরার চক্র ঘুরেফিরে এসেছে।" "ফারাক্কার অভিজ্ঞতা আমাদের এটাই শিখিয়েছে যে বড় নদীর বুকে জল নিয়ে খেলতে নেই।" "তুমি বরং সেই জলটাকে ক্যাচমেন্টে আটকাতে পারো, বড় নদীতে মেশার আগেই সেই জলটা কাজে লাগিয়ে নিতে পারো।" প্রায় অর্ধশতাব্দীর পুরনো ফারাক্কা ব্যারাজ যে ভারতের আর বিশেষ কোনও কাজে আসছে না - বরং নানা ধরনের পরিবেশগত বিপদ ডেকে আনছে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই তা খোলাখুলি বলছেন। তবে ফারাক্কা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনৈতিক স্তরেই, বছর তিনেক আগে নীতীশ কুমারের প্রকাশ্য দাবির পরেও সে কাজে কিন্তু খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। | তেতাল্লিশ বছর আগে আজকের এই ১৬ই মে তারিখেই ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে লং মার্চে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজনীতিবিদ মৌলানা ভাসানি। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকারী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে চট্টগ্রামে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে অন্তত চার জন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেবার পর তারা মারা গেছেন বলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন নিহত হবার কথা জানা গেছে। এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম শনিবার বিক্ষোভ এবং রোববার হরতালের ডাক দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ১ জন নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আজ একদল মাদ্রাসার ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তাদের সাথে আরেকটি মাদ্রাসার ছাত্ররা যোগ দেয়। এসময় হাটহাজারীতে সহিংসতায় মৃত্যুর খবর পৌঁছলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে আগুন স্থানীয় পত্রিকা একুশে আলো-র সম্পাদক সেলিম পারভেজ বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে এবং শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়। তারা বেশ কিছু গাড়িতেও অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি করে বলে জানান মি. পারভেজ। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়। তবে এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের তরফ থেকে কোন ব্ক্তব্য পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চট্টগ্রামে অন্তত ৪ জন নিহত এর আগে মি. মোদীর সফরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর বিক্ষোভ হয়। ওই এলাকায় কয়েক ঘন্টা ধরে পুলিশ-বিক্ষোভকারী ব্যাপক সংঘর্ষ চলে - যাতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঢাকার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত চারজন পরে হাসপাতালে মারা গেছেন। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা মুজিবর রহমান হামিদীও তাদের কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হবার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি দাবি করেন যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে - তবে একথা পুলিশ বা স্বাধীন কোন সূত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: মোদীর সফর ঘিরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবারের পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ঢাকার সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় কিছু লোক হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ এ সময় ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বেশ কিছু লোক আহত হয়। এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছিল কিছু ইসলামপন্থী ও বাম ধারার কয়েকটি সংগঠন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যেভাবে অর্জিত হয় আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কী হবে? | ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ হয়েছে, এবং অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ আর স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | হাসানুল হক ইনু, তথ্যমন্ত্রী এই সেলের মূল দায়িত্ব হবে গণমাধ্যমে এবং ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হয় তার উৎস অনুসন্ধান করা এবং তথ্য যাচাই-বাছাই করে আসল ঘটনা জনসাধারণকে জানিয়ে দেয়া। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিবিসিকে বলেন, "আমরা লক্ষ্য করছি সামাজিক মাধ্যমে একটি বিশেষ চক্র, বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক চক্র, যুদ্ধাপরাধী চক্র, ক্রমাগতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে।" "এটা সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, অবিশ্বাস তৈরি করছে এবং সংঘর্ষের উস্কানি দিচ্ছে।" মি. হক বলেন, এজন্যই সরকার মনে করছে গুজবের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সতর্ক করা এবং সচেতন করার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর কোন কোনটিতে কয়েকজন ছাত্রকে খুন এবং কিছু ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করা হয়। পর এসব দাবি স্রেফ গুজব বলে জানা যায়। যেভাবে কাজ করবে গুজব-বিরোধী সেল তথ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, এই সেল গঠিত হবে দক্ষ জনশক্তি দিয়ে। গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব গুজব ছড়িয়ে পড়ছে, এই সেল সেগুলো তা সনাক্ত করবে, গুজবের উৎস অনুসন্ধান করবে, গুজবের বিষয় সনাক্ত করবে, এবং এ ব্যাপারে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে জনসাধারণকে জানিয়ে দেবে। ঢাকায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। আরো পড়তে পারেন: ছিনতাইকারী ধরে পুরস্কার পেলেন ঢাকার যে তরুণী ভূমিকম্প সম্পর্কে ১২টি বিস্ময়কর তথ্য যৌনতার বিনিময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে চান বাড়ি মালিক এসব গুজবের বিষয়ে প্রয়োজনবোধে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকেও জড়িত করা হবে বলে জানান হাসানুল হক ইনু। এই গুজব-বিরোধী সেলকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে মি. হক বলেন, "এরকম কোন আশঙ্কা নেই।" "কোন ব্যক্তি যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিস-ইনফরমেশন এবং ডিস-ইনফরমেশন ছড়ায়, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে তাকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী তার দায়িত্ব নেবে না।" সরকার যাকে গুজব বলবে, ফেসবুক-টুইটার ব্যবহারকারীরা তাকে কেন সত্যি বলে মনে নেবে, এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরো বিষয়টা নির্ভর করবে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ওপর। "কোন একটি বিষয়ে মিথ্যাচার করা হলে সরকার, কর্তৃপক্ষ বা কোন সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে গুজব পল্লবিত হয়," তিনি বলেন, "সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলেই মানুষ তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।" তথ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সেল গঠিত হবে এবং পরে এতে বিশেষজ্ঞরাও যোগ দেবেন। ঢাকায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলার সময় ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম এবং মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গ্রেফতার করে। পরে নওশাবা আহমেদ জামিনে মুক্তি পেলেও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় মহিদুল আলম এখনও আটক রয়েছেন। | বাংলাদেশে গুজবের প্রবাহ বন্ধ করার লক্ষ্যে সরকার একটি বিশেষ সেল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | আবার মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে পড়েছে খাদিজা বেগমের মুখে। তাকে উন্মত্তের মতো কুপিয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। দূর থেকে অনেকেই সেটির ভিডিও করেছিল। কিন্তু কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এরপর দীর্ঘদিন খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ছিল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অথচ এই ছবিটি মোটে দিন তিনেক আগে তোলা। তার ভাই শারনান হক শাহীন ছবিটি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন। ঢাকার কাছে সাভারের সিআরপিতে ছবিটি তোলা। সেখানেই এখন চলছে খাদিজার পুনর্বাসন। টেলিফোনে আমার কথা বলার সুযোগ হয় খাদিজার সাথে। খাদিজা এখন হাঁটা-চলা করেন নিয়মিত। ছবিটি আজই তোলা। জানতে চাই, কেমন আছেন? "মোটামুটি ভাল আছি"। ছোট্ট উত্তর। শুনতে পেলাম আপনি এখন হাঁটাচলা করতে পারেন, ঘুরতে-টুরতেও যাচ্ছেন এখানে সেখানে? "এইতো একটু। বেশী না"। কি কষ্ট আপনার আছে এখন? "বাম হাতে আর বাম পায়ে"। ছোট ছোট বাক্যে এক দু-কথায় জবাব সারছিলেন তিনি। খাদিজার ভাই শারনান হক বলছেন, ডাক্তার আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলতে চান না খাদিজা। মি. হকের ফোনেই কথা হচ্ছিল। তিনিই সিআরপিতে খাদিজার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তিনি চীনের বেইজিংয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র। শীতকালীন ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। অক্টোবর মাসে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খাদিজা। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া, পড়াশোনা এগুলো এখন একটু একটু করতে পারেন বলে জানালেন খাদিজা। তবে বেশীরভাগ সময়েই তার কাটে ডাক্তারদের থেরাপি কক্ষে নয়তো বিছানায় শুয়ে। এভাবে বেশীরভাগ সময় শুয়ে বসে কাটান বলে খুবই 'বোর' হচ্ছেন তিনি, তাই বিকেলবেলা তাকে দেয়া হচ্ছে সিআরপির কম্পাউন্ডে ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি। আর গত সোমবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার পর তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সিআরপি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায়। খাদিজার কাছে জানতে চাই, যেদিন তাকে কোপানো হয়েছিল সেদিনকার কথা মনে আছে তার? খাদিজা বললেন, 'কিছু মনে নেই'। তারপর পাশে বসা ভাইয়ের হাতে ফোনটি দিয়ে দিলেন। এখানেই শেষ খাদিজার সঙ্গে আমার আলাপচারিতা। খাদিজা বেগম, আহত হবার আগে। (ফাইল চিত্র) খাদিজার ভাই মি. হক জানাচ্ছেন, ওই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চান না খাদিজা। কিন্তু আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি সিলেটের আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা আছে তার। সেই দিনকে সামনে রেখে সিআরপি কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার একটি তোড়জোড় আছে। সেখানে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে খাদিজাকে হয়তো সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে হবে। ওদিকে মি. হক বললেন, ওইদিনের কথা বললে খাদিজার 'ডিপ্রেশন' হয়। সে কবে নাগাদ পুরোপুরি সুস্থ হবে সেই দিনক্ষণ এখনো নিশ্চিত করেনি সিআরপি। তবে পুরো সুস্থ হলে খাদিজা আবার তার লেখাপড়ার জীবনে ফিরে যেতে চান সেই কথাটা আলাপচারিতার এক ফাঁকেই তিনি জানিয়েছিলেন আমাকে। সম্পর্কিত খবর: খাদিজাকে কোপানোর দৃশ্য ভিডিও করলেও বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ খাদিজা বেগমের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে, বলছেন চিকিৎসক বাবাকে 'আব্বু' ডাকল খাদিজা, মাকে ডাকল 'আন্টি' | মিষ্টি হাসিমাখা মুখখানির ছবিটি ফেসবুকে দেখে আগ্রহী হয়ে উঠি। গত বছরের ৩রা অক্টোবরের পর খাদিজা বেগমকে বা তার ছবি যারা দেখেছেন, তারা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি, খাদিজা আবার কোনদিন এমন মিষ্টি করে হাসবেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | লোকটি ইচ্ছে করে মাস্ক খুলে অন্য লোকের সামনে কাশি দেন স্পেনের মায়োরকা শহরের ওই লোকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর এবং কাশি থাকা সত্ত্বেও তিনি তার কর্মস্থল এবং জিম বা ব্যায়ামাগারে গিয়েছিলেন। বলা হয়, তিনি তার কর্মস্থলে গিয়ে মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন এবং সহকর্মীদের বলতে থাকেন যে তিনি তাদেরকে সংক্রমিত করছেন। এ ঘটনার পরে তার পাঁচজন সহকর্মী এবং একই জিমে যান এমন তিনজন কোভিড পজিটিভ বলে ধরা পড়েন। সংক্রমিত ওই লোকদের পরিবারের সদস্য আরো ১৪ জনও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হন। এর মধ্যে তিনটি এক-বছর-বয়স্ক শিশুও ছিল। স্পেনের পুলিশ শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে জানায় - ওই লোকটির বেশ কিছুদিন ধরেই সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল কিন্তু তিনি তার কাজ থেকে বাড়িতে যেতে চাইছিলেন না। এক সন্ধ্যায় তিনি একটি পিসিআর টেস্ট করান। কিন্তু তার ফলাফল পাবার জন্য অপেক্ষমাণ থাকার সময়ও তিনি কর্মস্থলে এবং জিমে যান। তার সহকর্মীরা তাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি । পুলিশ জানায়, এর পর তিনি তার মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে কাশতে থাকেন, এবং বলেন, "আমি তোমাদের সবাইকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত করবো।" লোকটির টেস্টের ফল পজিটিভ আসার পর তার সহকর্মীরা ভয় পেয়ে যান বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ বলছে, তারা জানুয়ারি মাস থেকে ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং সংক্রমিত লোকেরা কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | ইচ্ছে করে ২২ জন লোককে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত করার অভিযোগে স্পেনে ৪০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভারতে মুসলিমদের অস্পৃশ্যতা নিয়ে আলোচনা হয় না। হিন্দু বর্ণভেদ প্রথার কারণে ভারতে দলিতদেরকে সমাজের একেবারে 'নীচু জাত' হিসেবে বিবেচনা করে অত্যন্ত ঘৃণা ও উপেক্ষার চোখে দেখা হয়। কিন্তু কেবল হিন্দু সম্প্রদায়েই নয়, ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যেও যে 'অস্পৃশ্য' বা 'দলিত' মুসলিম আছে— সেই তথ্যই উঠে এসেছে দেশটিতে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি মুসলিম নাগরিক আছে। এদের একটা বিরাট অংশই হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত। মনে করা হয়, হিন্দু জাত-পাত প্রথার নিগ্রহ থেকে রক্ষা পেতেই নিম্নবর্ণের হিন্দুদের এই ধর্ম বদল। সাধারণত, ইসলাম সকল মানুষের সমতার কথা বলে। আর মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থেও বর্ণভেদ প্রথার কোনো উল্লেখ নেই। তাই, সামাজিক-চর্চায় অস্পৃশ্যতার বিষয়টি বিরাজমান থাকলেও এর বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজ তেমন উচ্চ-বাচ্য নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। গবেষক প্রশান্ত কে ত্রিবেদী, শ্রীনিবাস গোলি, ফাহিমুদ্দিন ও সুরিন্দর কুমার মিলে ভারতের ১৪টি জেলার মোট সাত হাজারের বেশি বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ২০১৪ এর অক্টোবর থেকে ২০১৫ এর এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের উত্তর প্রদেশে চলে এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ। আরো পড়ুন: মুসলিমকে রক্ষা করায় হত্যার হুমকিতে পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে দলিত হত্যার কিছু কাহিনি ভারতে দলিতদের ঘোড়ায় চড়াও অপরাধ? দলিতদের বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, নিহত ৫ গবেষণায় যা উঠে এসেছে: অনেকে মনে করেন, দলিত মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। শুধু ভারতীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় নয় এমনকি শিখদের মধ্যেও বর্ণ-ভেদ দেখা যায়। তবে, পার্সিরা কিছুটা ব্যতিক্রম। এই গবেষণার পর গবেষক প্রশান্ত কে ত্রিবেদী বলেছেন, দলিত হিন্দুদের মতই দলিত মুসলিম ও খ্রিষ্টানদেরকেও আলাদাভাবে কিছু সামাজিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা উচিত। তবে, এই গবেষণার ফলাফলে যে চিত্র উঠে এসেছে তার মোদ্দা কথা দাঁড়াচ্ছে এমন যে, ভারতে কেউ হয়তো তার জাত পরিত্যাগ করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সে জাতকে ছাড়তে চাইলেও জাত তাকে ছাড়বে না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে 'ধর্মীয় ঘৃণা' নিয়ে সাবেক শীর্ষ আমলাদের উদ্বেগ 'মানুষের মনে মুসলিম বিদ্বেষের বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে' রাজস্থানে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার নেপথ্যে কী? | 'অস্পৃশ্যতা দাসত্বের চেয়ে খারাপ'— বলেছেন ভারতীয় দলিত সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত নেতা ড. ভিমরাও আম্বেদকর। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | যে মা গর্ভধারণে অক্ষম, এক্ষেত্রে তার ভ্রুণ অন্য মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়, সেখানেই বেড়ে উঠে তার সন্তান, কিন্তু জন্মের পর পর গর্ভধারিণী মায়ের কাছ থেকে শিশু চলে আসে ভ্রুণ যার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিলো ওই মায়ের কাছে৻ ধনী দেশগুলোর নিঃসন্তান দম্পতিরা এভাবে সন্তান নেওয়ার জন্য এখন দলে দলে ভিড় করছেন ভারতে, কারণ সেখানে এ নিয়ে গড়ে উঠেছে বিরাট ব্যবসা৻ কিন্তু এনিয়ে সেখানে তৈরী হচ্ছে নানা আইনি জটিলতা৻ আর সামাজিক সমস্যাতো আছেই৻ মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টাল অর্ধেক পৃথিবী পাড়ি দিয়ে ভারতের গুজরাটে এসেছেন নাইনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে৻ কারণ নাইনার গর্ভে বেড়ে উঠছে ক্রিস্টালের যমজ সন্তান৻ ৫,০০০ ডলারের বিনিময়ে ক্রিস্টালের ভ্রুণ নিজের গর্ভে ধারণ করতে রাজী হয়েছেন নাইনা৻ ধাত্রীর কাজ করে গত কয়েক বছরেও তার এতো আয় হয়নি, কাজেই নিজের গর্ভ ভাড়া দিতে নাইনার মনে কোন দ্বিধা নেই৻ নিঃসন্তান দম্পতিরা ভিড় করছেন ভারতে নাইনা বলছেন, ‘প্রথম প্রথম বাচ্চা দিয়ে দিতে খুব কষ্ট হতো, কারণ অন্যের বাচ্চা হলেও তা যখন নিজের গর্ভে বেড়ে উঠে, তার সঙ্গে একটা আবেগের সম্পর্ক তো গড়ে উঠে৻‘ কিন্তু জন্মের পর বাচ্চা দিয়ে দিতে হবে, সেটা তো আগেই ঠিক করা, আর এর জন্য অর্থও পাচ্ছেন তিনি, কাজেই নাইনার মেনে না নিয়ে উপায় নেই৻ সন্তান নেওয়ার জন্য এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নাইনার সাহায্য নিচ্ছেন ক্রিস্টাল৻ বলছেন, প্রথমবারের নির্ঝঞ্চাট অভিজ্ঞতার কারণে এবারও নাইনাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি৻ ক্রিস্টাল বলছেন, ‘প্রথম সন্তান নেয়ার জন্য যখন নাইনার গর্ভ ভাড়া করেছিলাম তখন আমার অভিজ্ঞতা ছিল বেশ ইতিবাচক৻ সে কারণে আবার আমি এখানে এসেছি৻‘ গুজরাটের ছোট্ট শহর আনন্দ গত কয়েক বছরে হয়ে উঠেছে সারোগেট মাদার, বা গর্ভ ভাড়া দেন এমন মায়েদের বড় কেন্দ্র৻ নিঃসন্তান দম্পতিরা পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে এখানে ভিড় করছেন সারোগেট মায়েদের সাহায্য নিতে৻ গত ৭ বছরে এভাবে প্রায় ২০০ দম্পতিকে সন্তান নিতে সাহায্য করেছেন ডক্টর নয়না প্যাটেল৻ সারোগেট মা দের জন্য তিনি একটি হোস্টেল চালান এখানে৻ ডক্টর নয়না প্যাটেল বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় সন্তান নেয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের সবার জন্যই এটি এক তীব্র আবেগময় অভিজ্ঞতা৻ কখনো খুশির, কখনো দু:খের, বিষাদের৻ কারও ক্ষেত্রে হয়তো গর্ভধারণ সফল হলেও বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে৻ কেউ হয়তো সফলভাবে পুরো প্রক্রিয়া শেষে সন্তানের জন্মে ভীষণ খুশি৻ গর্ভ ভাড়া নিয়ে ভারতে গড়ে উঠেছে বিরাট ব্যবসা ভারতের মতো রক্ষণশীল সমাজে যে মহিলারা গর্ভ ভাড়া দেয়ার কাজ করছেন, তাদের ঝুঁকি অনেক৻ জানাজানি হলে সমাজে নানা গঞ্জনা আর একঘরে হওয়ার আশঙ্কা৻ দীক্ষা গুরুং কয়েক বছর আগে এক জাপানী দম্পতির শিশু জন্ম দিয়েছেন৻ দীক্ষা বলছেন, তাদের সমাজে এটাকে অনৈতিক কাজ হিসেবেই দেখা হবে, কিন্তু তা সত্ত্বেও দীক্ষা আবারও তা করতে চান৻ দীক্ষা বলছেন, ‘অন্য অনেক অনৈতিক কাজের চেয়ে বরং সারোগেট মা হওয়া ভালো৻ এখানে তিনি অন্তত আরেকজনের উপকার করছেন, আর সন্তান জন্ম দেয়ার এই আনন্দের অংশীদার হচ্ছেন সবাই৻‘ কিন্তু ভারতে সারোগেট মায়েদের ঘিরে এই ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তৈরী হচ্ছে নানা জটিলতা৻ এক জাপানি দম্পতি এভাবে সন্তান নেওয়ার জন্য সাহায্য নেন এক সারোগেট মার, কিন্তু তাদের বিয়ে বিচ্ছেদের পর শিশুটিকে কেউ আর নিতেও আসেননি৻ এই ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তৈরী হচ্ছে আইনগত জটিলতা এরকম পরিত্যক্ষ শিশুদের নিয়ে তৈরী হচ্ছে নুতন সমস্যা৻ এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকার নতুন আইন করেছে, যাতে সারোগেট মায়েদের অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা থাকছে, সেই সঙ্গে সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে একজন মহিলা সর্বোচ্চ কতবার এভাবে অন্যের সন্তান নিজের গর্ভে নিতে পারবেন সেটাও৻ | চিকিৎসা বিজ্ঞানে সারোগেসি কথাটার সহজ অর্থ করা যেতে পারে অন্য মায়ের গর্ভ ব্যবহার করে সন্তান জন্মদান৻ |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এ বছর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন অং সান সুচি বিবিসি-কে দেয়া সাক্ষাতকারে দেশটির রাখাইন রাজ্যে চলমান সমস্যার কথা স্বীকার করে মিজ সুচি বলেন, "রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট বৈরিতা রয়েছে, মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করেছে"। তবে তার মতে, একটি জাতিকে 'নিধন' করা হচ্ছে শব্দটি সেখানকার পরিস্থিতির জন্য বেশি কঠিন। এ বছর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেতা মিজ সুচি। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা বালিকাকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, মানবাধিকার রক্ষার দূত এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী হয়েও সূচী ব্যর্থ হয়েছেন নিজের দেশে রোহিঙ্গাদের নির্মূলে বাধা দিতে- তখন তিনি এই অভিযোগ এড়িয়ে যান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সেখানে নানা বিভক্তি রয়েছে মানুষের মাঝে এবং আমরা সেটাই কমানোর চেষ্টা করছি। দীর্ঘ সাক্ষাতকারে সুচি এই বিষয় নিয়ে তার মতামত তুলে ধরে বলেন, সেখানে অক্টোবরে পুলিশের ওপর হামলা থেকেই সবকিছুর সূত্রপাত। এরপর সামরিক বাহিনী বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেবার পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ এক প্রশ্নের জবাবে মিজ সুচি বলেছেন, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ ফিরে আসতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে। এর আগে রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন মিজ সুচি। সে প্রসঙ্গে তার জবাব, তিনি মার্গারেট থ্যাচার কিংবা মাদার টেরিজা নন। তিনি শুধুই একজন রাজনীতিবিদ। তবে, সবকিছু পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানকে আবারো রাখাইন রাজ্যে আমন্ত্রণ জানান। আরও পড়ুন: র্যাব নিয়ে স্পর্শকাতর গোপন রেকর্ডিং যাচাই হচ্ছে সিগারেট খেয়ে দশজনে মারা যাচ্ছে একজন | মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সুচি বলেছেন, রাখাইন প্রদেশে মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নিধন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | লন্ডন ব্রিজের উত্তরের অংশে একটি হলে চলতে থাকা এক অনুষ্ঠানে হামলার সূত্রপাত হয়। ছুরি নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই জনগণের সহায়তায় এবং পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন। এখানে সেই হামলার ঘটনাস্থলের কিছু ছবি: ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর লন্ডন ব্রিজ রেল স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বিবিসির জন ম্যাকম্যানাস ঘটনাস্থল থেকে জানান, ব্রিজের ওপর তিনি কিছু লোককে মারামরি করতে দেখেছেন। এরপর পুলিশে সেখানে হাজির হয় এবং গুলি ছোঁড়ে। আতঙ্কিত মানুষ ঘটনাস্থাল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আরো পড়তে পারেন: পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে পুলিশ সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মেট্রোপলিটান পুলিশের নৌশাখা টেমস নদীতে টহল দিচ্ছে। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে হাজির হয় অ্যাম্বুলেন্স। সশস্ত্র পুলিশের এক কর্মকর্তা এক পথচারীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশের ফোরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা রাত জেগে অকুস্থলে তদন্ত চালান। | মধ্য লন্ডনে শুক্রবার রাতে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত দু'ব্যক্তি নিহত এবং আরো কয়েক জন আহত হয়েছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কোন সাংবাদিক বিদেশ গিয়ে দেশের স্বার্থ-বিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই সুপারিশ তুলে ধরেই তা বাস্তবায়নের জন্য আদেশের চিঠি বিদেশে বাংলাদেশী মিশনগুলোতে পাঠিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এমন ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবটি তুলেছিলেন এই কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ। তিনি বলছিলেন, "ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন প্রত্যেক বছর বন্ধুত্বের সফরের নামে বাংলাদেশ থেকে কিছু সাংবাদিককে তাদের দেশে নিয়ে যায়।এবং সেখানে অনেক কথা তোলা হয়।এবং কিছু সাংবাদিক আছেন, যারা বাংলাদেশ বিরোধী কথা বলে আসেন।" সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ আরও বলেছেন, "সম্প্রতি পাকিস্তানে এমন একটি সফরে প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো যে, বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস পালন করা হবে কিনা? বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং একজন সাংবাদিক বলে এসেছেন, আসলে ভারতের উস্কানিতে একথাটা উঠেছে, এটা কিছু হবে না।একারণেই আমি সংসদীয় কমিটি বলেছিলাম যে, সাংবাদিকদের কেউ একথা যদি বলে আসে তবে তার জবাবদিহি করা উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতেই হয়তো ঐ চিঠি দেয়া হয়েছে।" বাংলাদেশের দশজন সাংবাদিক সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে গিয়েছিলেন। সেই সফরের সময়ের কর্মকাণ্ড নিয়েই সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর নজরদারির বিষয় এসেছে। তবে পাকিস্তান সফরকারী সাংবাদিকদের মধ্যে আহমদ আতিক বলছিলেন, তাদের সফরে দেশের স্বার্থ-বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড কেউ করেনি। মি. আতিক বলছিলেন "আমরা পাকিস্তানে সফরে তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় আমরা সবার আগে যে প্রশ্ন তুলেছি, সেটা হচ্ছে, ৭১সালে আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকারের যে ভূমিকা,সেজন্য তাদের অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।আমাদের দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে অবশ্যই তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।দেশের বিন্দুমাত্র স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, এ ধরণের কথা আমরা কোথাও বলিনি।" নজরদারির ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশের চিঠি নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সামাজিক নেটওয়ার্কেও এনিয়ে আলোচনা চলছে এবং চিঠিটি ভাইরাল হয়েছে।ইংরেজী দৈনিক নিউজ টুডে'র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "এ ধরণের নজরদারী আগে কখনও হয়নি।এটাতো সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিনব কায়দা।" তবে বৃহস্পতিবার ভিন্ন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এই নজরদারির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, "এই সার্কুলার আমি দেখিনি।আর বিষয়টা হলো, জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যারাই বিদেশে যান, তাদের সকলের উপর নজর রাখাটা সরকারের দায়িত্ব।এর মানে এই নয় যে সকলকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বা নিয়ন্ত্রণের একটা পদ্ধতির মধ্যে আনা হচ্ছে।এটা অবশ্যই নয়।" মন্ত্রী আরও বলেছেন, "বাংলাদেশের মতো স্বাধীন গণমাধ্যম পৃথিবীর কম দেশেই আছে।যা খুশি তাই লিখছে। আর বিদেশে গেলে কি করছে, আমারতো মনে হয়, দেখা উচিত।" | বাংলাদেশ থেকে কোন সাংবাদিক বিদেশ গিয়ে দেশের স্বার্থ-বিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | মূল সাক্ষী এবং নথি উপস্থাপনের সাবপিনাকে (তলব) বাধা দিতে চান মিচ ম্যাককনেল। এরইমধ্যে অন্য রিপাবলিকান সেনেটরদের চাপের মুখে বিচারের শুনানি দ্রুত শেষ করার প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল। ডেমোক্রাটরা বলছেন, এটা ধামাচাপা দেবার ঘটনা ছাড়া আর কিছুই হবে না। মিস্টার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসের তদন্তে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে "ভুয়া" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সেনেটররা নিরপেক্ষ বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেছেন। মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের নেতৃত্বে এই বিচার প্রক্রিয়ায় সপ্তাহে ছয়দিন ছয় ঘণ্টা করে শুনানি চলবে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসন বিচারের মুখে পড়লেন এবং কতদিন ধরে এটি চলবে সেটাও অনিশ্চিত। ডেমোক্রাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে গত মাসে অভিশংসিত হন মিস্টার ট্রাম্প। কিন্তু সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ধারণা করা হচ্ছে যে তারা প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে তার দপ্তর থেকে সরাবে না। ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? অভিযোগ 'নির্লজ্জ, বেআইনি': ট্রাম্পের আইনি দল ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট তদন্তে 'প্রবল' প্রমাণ মিলেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্প অভিশংসন: সেনেটে বিচার সম্পর্কে যা জানা দরকার ডেমোক্রাটরা কিভাবে বাধার মুখে পড়েছিল? অভিশংসন বিচারে নথি এবং প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার ডেমোক্রাটরা তিনবার সেনেটের ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়। দলীয় ভোট অনুসারে এর বিপক্ষে ৫৩টি এবং পক্ষে ৪৭টি ভোট পড়ে। ইউক্রেন এবং মিস্টার ট্রাম্প সম্পর্কিত হোয়াইট হাউসের ফাইল উপস্থাপন করতে ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমারের প্রস্তাব বাতিল করেন সেনেটররা। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হোয়াইট হাউসের বাজেট দপ্তরের রেকর্ড এবং নথি প্রকাশের দাবি জানিয়ে আনা একটি প্রস্তাবও বাতিল করে দেয়া হয়। অভিশংসন বিচারের নেতৃত্বে থাকা হাউস ডেমোক্রাট অ্যাডাম শিফ তার উদ্বোধনী বিবৃতিতে বলেন, বেশিরভাগ আমেরিকান "বিশ্বাস করে না যে ন্যায় বিচার হবে।" "তারা বিশ্বাস করে না যে সেনেট নিরপেক্ষ হবে",তিনি বলেন। "তারা বিশ্বাস করে যে ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত।" এর আগে প্রেসিডেন্টের আইনজীবী দল এই বিচারকে "সংবিধানের বিপদজনক বিকৃতি" উল্লেখ করে তা থেকে প্রেসিডেন্টের নিস্তার দাবি করে। মিচ ম্যাককনেল কিভাবে চাপের মুখে পড়লেন? প্রেসিডেন্টের আইনজীবীদের সমর্থনে, মিস্টার ম্যাককনেল প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক যুক্তি-তর্ক সংক্ষিপ্ত করে তিনদিনের পরিবর্তে দুইদিনে শেষ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু রিপাবলিকানসহ অন্য সেনেটরদের সাথে এক বৈঠকের পর, মিস্টার ম্যাককনেল মঙ্গলবার প্রাথমিক যুক্তিতর্ক তিন দিনেই শেষ করার পক্ষে মত দেন। সেনেটররা উদ্বেগ জানিয়ে বলেন যে, মার্কিন ভোটাররা মধ্যরাতের অধিবেশন খুব ভালভাবে দেখবে না। হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল এবং প্রেসিডেন্টের প্রধান আইনজীবী বলেন, "এটা সুষ্ঠু প্রক্রিয়া। এখানে অন্য কোন বিষয় নেই।" পদ্ধতিগত জটিলতা আরো কয়েক দিন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাম্পের বর্তমান ও সাবেক প্রশাসন সদস্যদের যেমন সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনের উপস্থিতির দাবি জানিয়েছে ডেমোক্রাটরা। কিন্তু রিপাবলিকানরা সাক্ষী এবং নথির বিষয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন বিচার প্রক্রিয়ায় আরো পরের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? প্রথমত, প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সরকারের কাছে তাকে নভেম্বরে পুনঃনির্বাচিত হতে সাহায্য করতে সহায়তা চাইছে। অভিযোগ রয়েছে যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেনস্কির সাথে এক ফোনালাপে, ডেমোক্রেট দলের হোয়াইট হাউসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন, যার ছেলে হান্টার ইউক্রেনের জ্বালানী ফার্ম বুরিশমার একজন বোর্ড সদস্য। তা নাহলে তিনি সামরিক সহায়তা স্থগিত রাখার কথা বলেন। দ্বিতীয় অভিযোগটি হচ্ছে, গত বছর অভিশংসন শুনানিতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দিতে অসম্মতি জানান, যার মাধ্যমে মিস্টার ট্রাম্প কংগ্রেসকে বাধা দেন। গত ১৮ই ডিসেম্বর ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের মাধ্যমে মিস্টার ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে। যার শুনানি সেনেটে চলছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: প্রবাসেও কেন বাংলাদেশের রাজনীতি, দলাদলি বাংলাদেশে বড়ো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ রক্তের কোষ সারাতে পারে সব ক্যান্সার: গবেষণা | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট অভিশংসনের বিচার শুরু হয়েছে। এসময় ডেমোক্রাটরা অভিশংসনের পক্ষে নতুন প্রমাণ সংগ্রহে বারবার প্রচেষ্টা চালালেও তা নাকচ করেছে সেনেট। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিন পিংয়ের সম্পর্ক এখন হিমঘরে দিল্লিতে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীনের সাথে বাণিজ্যে ভারত লাভবান হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এই সম্পর্কে অবস্থান কঠোর করতে হবে ভারতকে, চীনের বাজারে ঢোকার সমান সুযোগ আদায় করতে হবে। “এখনই সময় চীনকে বলার যে তোমরা আচরণ ঠিক করো,“ বলেন ড. গয়াল যিনি মুম্বাইতে ইন্দিরা গান্ধী ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের একজন অধ্যাপক। নরেন্দ্র মোদীর এই উপদেষ্টার বক্তব্যে চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি স্পষ্ট। কিন্তু চীনের ওপর চাপ প্রয়োগের সেই ক্ষমতা কি ভারতের রয়েছে? জুনের মাঝামাঝি লাদাখ সীমান্তে চীনের সাথে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুর পর ভারতে চীনবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। জনরোষের মাঝে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার দুই দফায় দেড়শরও বেশি চীনা সফটওয়্যার অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। চীনা বিনিয়োগের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। চীন থেকে রঙিন টিভি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. গয়াল বলেন, “ভারতকে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ তথ্যের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং ক্রেতাদের আবেগকে প্রাধান্য দিতে হবে।“ বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতে চীনা পণ্য বয়কট কি আদৌ সম্ভব? বয়কটের ডাক সত্ত্বেও ভারতে দেদার বিক্রি হচ্ছে চীনা কোম্পানির স্মার্টফোন কাশ্মীর সংকট: ভারতে চীনা পণ্য বয়কটের আন্দোলন চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের পেছনে যেসব কারণ ভারতে চীন-বিরোধী মনোভাব এখন তুঙ্গে চীন এখন ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী দেশ, কিন্তু বছরে বর্তমানে যে প্রায় ১০,০০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয় তার ভারসাম্যের দুই-তৃতীয়াংশই চীনের পক্ষে। ২০১৮ সালে ভারত ও চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯৬০০ কোটি ডলার। কিন্তু ভারসাম্য একচেটিয়া ভারতের বিপক্ষে। সে বছরই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৮০০ কোটি ডলার। এই ঘাটতি নিয়ে ভারতের সরকারের ভেতর অস্বস্তি রয়েছে, অভিযোগ রয়েছে। সীমান্ত নিয়ে চরম বৈরিতা শুরু হওয়ার পর সেই অসন্তোষ এখন মাথা চাড়া দিয়েছে। শর্ত আরোপর ক্ষমতা কতটুকু ভারতের কিন্তু চীনের সাথে বাণিজ্যে সরকারের অবস্থান কঠোর করার যে কথা ড. গয়াল বলেছেন, বাস্তবে সেই ক্ষমতা ভারতের এখন কতটা রয়েছে? চীনের ওপর নিজের পছন্দমত শর্ত আরোপ কি সম্ভব? দিল্লির জওয়াহারলাল ইউনিভারসিটির (জেএনইউ) অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তী ঘোষ বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি মনে করেন না চীনের ওপর কোনো শর্ত দেওয়ার ক্ষমতা এখন ভারতের রয়েছে। কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতির জন্য ভারতের শিল্পখাত চীনের ওপর এখন প্রচণ্ড নির্ভরশীল জয়তী ঘোষ বলেন, “চীন এখন ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক পার্টনার, কিন্তু চীনের কাছে ভারত আদৌ তা নয়। চীনের সাথে বাণিজ্য ভারতের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই বাণিজ্যের ওপর তাদের যে নির্ভরতা, চীনের কাছে ভারতের বাজারের গুরুত্ব আদৌ ততটা নয়।“ চীনা রপ্তানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান সেটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ২০১৮ সালে ভারতে চীনের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৫০০ কোটি ডলার, কিন্তু ঐ একই বছরের ভিয়েতনামের মত ছোট একটি দেশে চীন ৮,৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। জাপানে তাদের রপ্তানি ছিল ১৪,৮০০ কোটি ডলার, এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের রপ্তানি আয় ছিল ৫৫, ৮০০ কোটি ডলার। তাছাড়া, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার, কারখানার ভারী যন্ত্র, শিল্পের কাঁচামাল, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে পাড়ার দোকানে বৈদ্যুতিক ফ্যান এবং বাচ্চাদের খেলনা এর সবকিছুর যোগানের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ভারত। ড. জয়তী ঘোষ বলেন, “ওষুধ শিল্পের মত জরুরি খাতের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আসছে চীন থেকে। সেটা হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া অসম্ভব। খেলনা আমদানি বন্ধ করতে পারবেন, কিন্তু কলকারখানার যন্ত্রের হঠাৎ বিকল্প কী? চীন থেকে টিভি আমদানি না হয় বন্ধ করলেন, কিন্তু দাম তো অনেক বেড়ে যাবে।“ তার মতে - চীনের ওপর ব্যাপক ভিত্তিক এই নির্ভরতা হয়তো কমানো সম্ভব, কিন্তু “সময় লাগবে।“ বাণিজ্য কমার লক্ষণ নেই আর সে কারণেই তীব্র চীন-বিরোধী মনোভাব, চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ এবং নরেন্দ্র মোদীর “আত্ম-নির্ভরতার“ স্লোগান স্বত্বেও দুই দেশের বাণিজ্যে বড় কোনো হুমকি তৈরির কোনো লক্ষণ এখনও নেই। বরঞ্চ গত তিন মাসে চীনের সাথে বাণিজ্য গত বছর একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে, এবং সবচেয়ে যেটা মজার ব্যাপার যেটা তা হলো চীনের তুলনায় ভারতের রপ্তানি বেশি বেড়েছে। চীনা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুনের ভেতর চীন থেকে ভারতের আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২৪.৭ শতাংশ, কিন্তু চীনে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ৬.৭ শতাংশ। এপ্রিলে চীনে ভারতের রপ্তানি ছিল ২০০ কোটি ডলার যা জুলাইতে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫০ কোটি ডলার। বিশেষ করে গত তিন মাসে চীনে ভারতের রপ্তানি বাড়ার প্রধান কারণ ভারত থেকে কাস্ট আয়রনের রপ্তানি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। চীনের কাস্টমস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ভারত থেকে কাস্ট আয়রন আমদানি হয়েছে ২ কোটি টন, যেখানে ২০১৯ সালের পুরো বছরে আমদানি হয়েছে ৮০ লাখ টন। বিষফোঁড়া এবং ওষুধ - দুটোই চীন অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ভারতে সরকারের পক্ষ থেকে যে হম্বিতম্বি করা হচ্ছে তা মূলত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। বাস্তবে ভারত সরকার জানে প্রতিবেশি চীনের বাজার কতটা লোভনীয় এবং বহু চীনা পণ্যের কোনো বিকল্প তাদের সামনে নেই। দিল্লিতে এফওআরই স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের চীন বিশেষজ্ঞ ড ফয়সল আহমেদ বিবিসি হিন্দি ভাষা বিভাগকে বলেন, “চীনা পণ্য এবং বিনিয়োগের ওপর ভারতের চাপানো এসব বিধিনিষেধ প্রধানত সীমান্ত নিয়ে অসন্তোষ এবং ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ।“ তার মতে, চীন যদি ভারতের ‘বিষফোঁড়া‘ হয়, তাহলে তার ‘ওষুধও‘ আবার চীনই। ভারতে অর্থনীতিবিদ বিবেক কাউল বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সাম্প্রতিক সব পরিসংখ্যান দেখলে মনে হয়, রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ীরা মানুষের সামনে যত কথাই বলুন না কেন, তলে তলে তাদের স্বার্থের অনুকূলেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। মি. কাউল মনে করেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এবং শিল্প মালিকরা মনে করছেন চীনের সাথে ব্যবসা এখন তাদের কাছে সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভবিষ্যতে এই বাণিজ্য সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেবে। ভারত কি আমেরিকার দেখানো পথে চীন থেকে অনেক আমদানির পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াবে যাতে চীন থেকে আমদানি আর লোভনীয় না থাকে? সে সম্ভাবনার অনেকটাই নির্ভর করবে সীমান্তে ঘটনাবলী কোনে দিকে গড়ায় তার ওপর। | ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একজন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অসীমা গয়াল বলেছেন সীমান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চীনের সাথে বাণিজ্যে ভারতকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপাত্মক অর্থে উঠে আসছে একই লাইন হঠাৎ এই সংলাপটি নিয়ে ইউজারদের মধ্যে কেন এতো মাতামাতি? এই লাইনটি এলো কোথা থেকে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। মূলত বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির একটি সরাসরি সম্প্রচারিত প্রতিবেদন থেকেই এই লাইনটির সূত্রপাত। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঢাকার-৫ আসনের দনিয়া একে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটের চিত্র নিয়ে খবর সংগ্রহ করছিলেন মাই টিভির সাংবাদিক মাহবুব সৈকত। মাই টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহবুব সৈকত। আরও পড়তে পারেন: ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এখন যা বলছেন অঞ্জনা ভাইরাল ভিডিও: যা বললেন দল থেকে বহিষ্কৃত সেই নারী মাকে মিষ্টি দেওয়ায় বাবাকে প্রহার, গ্রেপ্তার ছেলে লাইভ সম্প্রচারের এক পর্যায়ে তিনি ভোটকেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন নারীর কাছে জানতে চান যে তাদের হাতে ভোট দেয়ার অমোচনীয় কালি দেয়া আছে, অর্থাৎ তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও তারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কেন ? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে এক নারী তখন বলেছিলেন যে, "এই থাকতে মনে করেন। খুশিতে ঠ্যালায়, ঘোরতে।" সে সময় এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে কম-বেশি শেয়ার হয়েছে ঠিকই। তবে এবার এই ভিডিওর চাইতে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, সেই নারী ভোটারের উদ্ধৃতিটি। গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়ে গেল, সেই প্রেক্ষাপটে আবারও এই নারী ভোটারের উদ্ধৃতি ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েকটি মিউজিক্যাল ডাবিং অ্যাপ বিষয়টিকে আরও নজরে আনে। মিউজিক্যাল ডাবিং অ্যাপ এই লাইনটিকে আরও নজরে আনে। এ বিষয়ে সাংবাদিক মাহবুব সৈকত বিবিসি বাংলাকে জানান, তিনি যখন খবর সংগ্রহের কাজটি করছিলেন তখন তিনি ভাবতেও পারেননি তার এই প্রতিবেদনটির একটি অংশ নিয়ে এতোটা আলোচনা হবে। তা-ও আবার প্রতিবেদন প্রকাশের পাঁচ বছর পর। মিস্টার সৈকত বলেন, "আসলে যখন আমরা সংবাদ সংগ্রহে যাই তখন আমরা বস্তুনিষ্ঠ-ভাবে খবর সংগ্রহের কাজেই থাকি। এখন পরবর্তীতে এটা নিয়ে আলোচনা হবে কি হবেনা সেটা মাথায় থাকেনা।" "তবে রিপোর্টটি নিয়ে এতো বছর পর এইরকম আলোচনা হবে ভাবিনি।" তবে মিস্টার সৈকতের প্রত্যাশা কেউ যেন তার খবরটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বা নেতিবাচক না ভাবেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, "একজন রিপোর্টারের কাজ সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের কথাগুলোকে সামনে আনা। আমি সেটাই করেছি। এর পেছনে আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।" "এখন একেকজন মানুষ বিষয়টিকে একেকভাবে নেবে। তবে আমি আশা করবো আমার রিপোর্টের একটা উদ্ধৃতি নিয়ে হাসি ঠাট্টা যাই হোক, সেটা নিয়ে যেন কোন পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক আলোচনা না হয়।" এদিকে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে বিষয়টিকে নিয়ে নানা আঙ্গিকে ট্রল করছেন ইউজাররা। কেউবা নিজের ব্যক্তিগত ছবি বা ইভেন্টের বিবরণীতেও ব্যাঙ্গ করে এই লাইনটি দিয়ে প্রকাশ করছেন তাদের মনের ভাষা। ফেসবুকে বেশ কয়েকজনকে দেখা যায়, সমাজে প্রচলিত বা অযাচিত কিছু প্রশ্ন লিখে, উত্তর হিসেবে তুলে ধরছেন এই লাইনটি। ঠিক যেমনটা জাফরিন হক লিখেছেন, "মার্কেটিং জবে তো প্রচুর ট্রাভেল করতে হয়, তুমি মেয়ে হয়ে মার্কেটিংয়ে জব করো কেন?" এ.এ এ.. মনে করেন, খুশিতে, ঠ্যালায়, ঘোরতে।" অনেকে বিভিন্ন বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করছেন এই লাইনটি। এই পোস্টের ব্যাপারে জাফরিন হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমাদের দেশে অনেকেই মানতে পারে না যে, মেয়েরা ডেস্কজবের বাইরে কোন চাকরি করবে। তখন তারা এই ধরণের প্রশ্ন করে বসে। সেইসব প্রশ্নদাতার উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্গ করেই পোস্টটা দিয়েছি।" অরুপ রতন চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ছিল এমনই আরেক ধরণের প্রশ্নকে ঘিরে, "তুমি তো বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরিও করতে পারতা; সিনেমাতে কাজ কর কেন? আমি- এই মনে করেন ভাল্লাগে। খুশির, ঠ্যালায়, ঘোরতে!" সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে এই উদ্ধৃতি অন্যদিকে জি সন বিশ্বাস নামে আরেক ইউজার লিখেছেন, "When someone asks me: "-ঢাকায় এতো জায়গা থাকতে মিরপুরে থাকেন কেন? -"এই মিরপুরে থাকতে মনে করেন ভাল্লাগে। খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে"। এমনই আরও নানা আঙ্গিকের প্রশ্ন-উত্তর, বা পোস্টে এই একটি উদ্ধৃতিকে ঘিরে চলছে ঠাট্টা ও আলোচনা। | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ইদানিং বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি কথাকে বিদ্রুপাত্মক অর্থে বা ব্যঙ্গ করে ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। আর সেটা হল, "এই মনে করেন ভাল লাগে, খুশির ঠ্যালায়, ঘোরতে।" |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | পাটগ্রামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা এবং মৃতদেহ আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনার পর থেকে সেখানে থম থমে পরিস্থিতি রয়েছে।--ফাইল ছবি এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত কয়েকজনের নাম দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তিনটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতদেহ পোড়ানোর কারণে দেহাবশেষ যেটুকু পুলিশ উদ্ধার করেছে, তার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই দেহাবশেষ শনিবার নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবারের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর পাটগ্রামের পরিস্থিতি থমথমে। গোটা পাটগ্রাম উপজেলায় পুলিশ র্যাবের পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে পিটিয়ে হত্যা করে একজন ব্যক্তিকে। তারা নিহত ব্যক্তির মৃতদেহও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার স্থানীয় পুলিশ বলেছে, ঘটনায় অনেক মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও কিছু লোক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল- এমন তথ্য তারা পেয়েছে। পাটগ্রামে নৃশংস হামলায় নিহত শহীদুন নবী। পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত বলেছেন, লোকজনের সাথে কথা বলে এবং ঘটনার ভিডিও দেখে পুলিশ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তারা সন্দেহভাজনদের পরিচয় এবং সংখ্যা প্রকাশ করতে চান না। "আমরা মোটামুটি শনাক্ত করতে পেরেছি। এখানে তো ধর্মীয় একটা সেন্টিমেন্ট সব সময়ই থাকে। যারা ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করে, তারা এই সেন্টিমেন্টের সুযোগ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এরকম একটা কিছু আছে। এখন আমরা ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোটামুটি কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে সংখ্যাটা বলছি না।" আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নৃশংস হামলায় নিহত ব্যক্তি কে ছিলেন লালমনিরহাটে পিটিয়ে হত্যার পর মৃতদেহ পোড়ানো, জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, মৃতদেহে আগুন বুড়িমারীতে নিহত ব্যক্তির নাম আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন নবী। তার বাড়ি রংপুরে। তিনি রংপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। বছর খানেক সময় ধরে চাকরি না থাকায় দুই সন্তানের পিতা এই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ছিলেন বলে তার পরিবার বলেছে। পরিবারটির সদস্যদের শুক্রবার রংপুর থেকে পাটগ্রামে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পর নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম বিপ্লব বলেছেন, এই আলোচনার ভিত্তিতেই তারা পরিবারের পক্ষ থেকেই হত্যা মামলা দায়ের করেন। "আমরা হত্যা মামলা করেছি। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।" নিহত শহীদুন নবীর পরিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার চেয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন গোয়ন্দাসংস্থা সেখানে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। যে মসজিদে গত বৃহস্পতিবার আছরের নামাজের পর নিহত ব্যক্তিকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বুড়িমারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খাদেমের বক্তব্য নিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মসজিদটির খাদেম মো: জোবেদ আলী বিবিসিকে বলেছেন, মসজিদের ভিতরে তাদের কয়েকজনের সাথে নিহত ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়েছিল। "ওরা দুইজন আসি পেছনের কাতারে নামাজ পড়ছিল- আছরের নামাজ। নামাজের পর কয়েকজন মুসল্লী ছিল, তখন এই ঘটনা ঘটলো। ঐ লোকটা যখন ভেতরে আসলো আমাদের সাথে নানা কথা বলছিল, আমি বললাম যে, ভাই আপনি পরিচয়টা দেন। উনি বললো যে, আমি র্যাব। আমি এখানে অস্ত্র খুঁজতে এসেছি। উনি তখন র্যাকে (বই রাখার তাক)রাখা কোরআন শরীফের পাশে পা দেয়, সেখানে পা দিয়ে র্যাকে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি করতেছিল। তখন একজন মুসল্লী এসে তাকে থাপা দিয়ে ধরে বাইরে নিয়ে যায়।" মো: জোবেদ আলী আরও বলেছেন, "কোরআন শরীফের পাশে পা দিছিলতো, জিনিসটা ছড়ায়ে পড়ে, সেজন্য ঐ ঘটনা ঘটে। আর ঘটনার সময় আমি এখান থেকে শুনছি শুধু, আল্লাহু আকবর, নারায়ে তাকবির। আর ওদিকে যে কী হয়েছে, তা আমি দেখি নাই।" তবে নিহত ব্যক্তি নিজেকে র্যাবের সদস্য দাবি করেছিলেন বলে যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ বলেছে, নিহত ব্যক্তি পুলিশ বা র্যাবের সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের ভাষায় নৃশংস একটি হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি তৈরির পেছনে মুল বিষয় ছিল পা দিয়ে কোরআন শরীফ অবমাননা করার অভিযোগের গুজব। এখন এর সাথে নানারকম বক্তব্য স্থানীয় লোকজন দিচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেছেন, "নিহতের সাথে যিনি ছিলেন, সেই ব্যক্তির সাথে আমরা কথা বলেছি। আর মসজিদের ভিতরে যারা ছিলেন, তাদের সাথেও আমরা কথা বলেছি। আসলে পরস্পরবিরোধী কয়েকটা কথা আমরা পাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা শুনেছি যে, উনি নাকি র্যাব পরিচয় দিয়েছেন। আর গুজবটা ছড়িয়েছে যে, কোরআন শরীফে পা দেয়া হয়েছে। এখন আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। সবকিছু তদন্ত করে সঠিক বিষয়টা আমরা বের করবো।" বুড়িমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি এবং তার সাথে থাকে আরেক ব্যক্তি-দু'জনকে রক্ষার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শত শত মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভাঙচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে দু'জনের মধ্যে একজনকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনি উল্লেখ করেছেন, সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তারা ১৫/১৬ জনের সুনির্দিষ্ট নাম দিয়ে মামলা করেছেন। আর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। এই দু'টির সাথে পরিবার দায়ের করেছে হত্যা মামলা। মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে কয়েকজনের নাম দেয়া হলেও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তও রয়েছে। | বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পুলিশ জানিয়েছে, পাটগ্রাম উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মৃতদেহ আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ । যদিও মঙ্গলবারই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির কারণে এ সংলাপের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর মধ্যেই সংলাপ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন ঐক্য-ফ্রন্টের নেতারা। তবে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সংলাপের ফলাফল নিয়ে আগে থেকে সন্দেহ পোষণ করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, " আমাদেরকে ধরে নিতে হবে যে সরকারের একটা সদিচ্ছা আছে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করার জন্য। সেজন্য আগে থেকে যদি আমরা সন্দেহ করা শুরু করি বা অবিশ্বাস করা শুরু করি, তাহলে তো আমরা ফলপ্রসূ কিছু অর্জন করতে পারবো না।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন শেখ হাসিনা কি সংলাপে পূর্বশর্ত জুড়ে দিলেন? যে দুটি ইস্যুতে হোঁচট খেতে পারে সংলাপ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদকে কি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন মি: আহমদ বলেন, সংলাপে তারা খোলা মনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে সংলাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। যারা সংশয় প্রকাশ করেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত মত হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন মওদুদ আহমদ। "সবার যে একই মত হবে তাতো না। অনেকে মনে করেন, অনেকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না। অনেকে মনে করেন সরকার এটাকে ধুম্রজাল সৃষ্টি করার জন্য করেছেন। এ ধরণের মতামত থাকতে পারে," বলেন মি: আহমদ। "এখনই আমি যদি বলেন নিই যে তারা এটা মানবেন না, তাহলে তো আর এ সংলাপের কোন প্রয়োজনই পড়ে না। আমরাই তো সংলাপ আহবান করেছি।" জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি। বিএনপি নেতারা এখনো বলছেন যে খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু দুর্নীতির দুটি মামলার দণ্ডিত হওয়ার কারণে নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংলাপের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোন সুরাহা হবে? এ প্রশ্নে মওদুদ আহমদ মনে করেন, সেটি অসম্ভব কোন বিষয় নয়। "সরকার যদি মনে করেন যে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া দরকার, জামিনের যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন.. এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টে বা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের প্রশ্ন আসলে উনি ওটাকে আপত্তি না করলেই তো হয়ে গেল।" বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মনে করেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কারণ, সংসদের অধিবেশন শেষ হলেও গেলেও ১০ সংসদ এখনো জীবিত আছে। যে কোন সময় সংসদের অধিবেশন আহবান করতে কোন আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করেন মওদুদ আহমদ। | বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কবরস্থান। স্বজনদের অভিযোগ, "শিশুটির পরিবার আহমদীয়া সম্প্রদায়ের হওয়াতেই এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। " এ ঘটনায় পুলিশ বা শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন মূলত: একে দুটি সম্প্রদায়ের বিচ্ছিন্ন কোন্দল হিসেবে বিবেচনা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের বাসিন্দা স্বপ্না বেগম গত মঙ্গলবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নির্ধারিত সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ শিশুটি বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেলে সেখানকার সরকারি একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই স্বপ্না বেগম জানতে পারেন স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা মাইকিং করে লোক জড়ো করে, তার সন্তানের লাশ কবর থেকে তুলে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। 'শুধুমাত্র আহমদীয়া সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণেই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে" বলে অভিযোগ স্বপ্না বেগমের। বিবিসির সঙ্গে কথা বলার এ পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত নবজাতকের মা। "সরকারি কবরস্থানে সব মুসলমানই তো কবর দিতে পারবে। আজকে তিনদিনের বাচ্চা, ওর কোন অপরাধ নেই, দুনিয়ার কিছুই বোঝে না। তার লাশ ওরা ফেলে দিসে।" "পুলিশ, মেম্বার, ডিসি, চেয়ারম্যান তাদের কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি, একটু সান্ত্বনা দিতে আসেনি। বলে নাই যে, যা হয়েছে এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা, এটা পাপ।" আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন তেহরিক-ই-খতমে নব্যুয়াত দলের একজন সদস্য। স্থানীয় প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতাদের ব্যাখ্যা পরে পুলিশি পাহারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কান্দিপাড়ায় আহমদীয়া সম্প্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়। লাশ তুলে ফেলার ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও, তারা কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ওসি মো. সেলিম উদ্দিন পুরো বিষয়টিকে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ থেকে সৃষ্ট একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, "এটা তো ধর্মীয় বিষয়, দুইটা সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিষয়। আহমদীয়া সম্প্রদায়ের তো নিজের আলাদা কবরস্থান আছে। ওনারা কেন অন্যখানে দাফন করতে গেলেন।" "ঘটনা নিয়ে আমরা এলাকাবাসীকে দেখি জিজ্ঞাস করবো। তারপর দেখবো কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না।" লাশ কবর থেকে তোলার ঘটনায় এক পক্ষের 'সাফাই' এদিকে আহমদীয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম আখ্যা দিয়ে এই লাশ তুলে ফেলার ঘটনাকে বিধিসম্মত বলে দাবি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামি ঐক্যজোটের সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনামুল হক। শিশুটির পরিবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। 'আহমদীয়া শিশুর পরিবার অনেক অন্যায় করেছে। তারা জানতো এখানে কবর দিলে দাঙ্গা হাঙ্গামা হবে। অবশ্যই তাদের ভেতরগত ষড়যন্ত্র ছিল। মুসলমানদের কবরে অমুসলিমদের দাফন হলে সেটা তুলে ফেলার বিধিবিধান আছে। যেহেতু তারা অমুসলিম - এজন্য স্থানীয়রা ওই বাচ্চার লাশ কবর থেকে তুলেছে।' সুন্নি মতাদর্শে বিশ্বাসী বেশ কিছু সংগঠন আহমদিয়া সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই বিরোধ এতো প্রকট কেন বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন জেলায় হামলা ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা। হেফাজতে ইসলামসহ সুন্নি মতাদর্শে বিশ্বাসী বেশ কিছু সংগঠন শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে পাকিস্তান যেভাবে আহমদীয়া সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে, সাংবিধানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশেও যেন সেটা করা হয়। এই সংগঠনগুলো জোটবদ্ধ হয়ে ঢাকা, রাজশাহী, শেরপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা,টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের চালিয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার খবর পাওয়া যায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায়। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আহমদীয়া জামাতের বার্ষিক জলসা চলার সময় তাদের একটি মসজিদে এবং আশেপাশের বাড়িঘরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরণের একের পর এক সংঘর্ষের কারণে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা শহরের মূল সমাজ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রচুর কওমি মাদ্রাসা থাকায় এবং হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক শক্তি বেশি হওয়ায় সেখানে এই বিরোধ প্রকট বলে মনে করছেন আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের মুখপাত্র আহমেদ তবশির চৌধুরী। তিনি বলেন, "আহমদিয়া পাড়ায় থাকা মানুষদের এখনও হুমকি ধমকি দেয়া হয় কটু কথা শোনানো হয়। ইসলামি দলগুলোর ভেতরে যতোই দ্বন্দ্ব থাকুক। আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে তারা সবাই এক। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে এই গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন সময় ভাঙচুর, লুটপাট, হামলা চালিয়েছে, আহমদীয়া মসজিদ দখল করেছে।" আরও পড়তে পারেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আহমদীয়া মসজিদ ঘিরে আবার উত্তেজনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহমদীয়াদের মসজিদ ও বাড়িঘরে হামলা আহমদীয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা: পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন ঢাকায় আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি মসজিদ: ফাইল ছবি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার বাংলাদেশে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করায় সংখ্যালঘুরা বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানে না গেলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের কোন্দল ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলেও তিনি উদ্বেগ জানান। "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রশাসনও যথাযথ ভূমিকা নেয়নি। কারণ সরকার সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামি দলগুলোকে তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকার সব সম্প্রদায়কে সমানভাবে দেখতে পারছে না। সরকার যখন নীরব থাকে তখন সবাই ধরে নেয় যে এ ধরণের ঘটনা বার বার ঘটানো যাবে।" এ ঘটনার জেরে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত সুবিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। | বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নবজাতকের লাশ কবর থেকে তুলে রাস্তায় ফেলে রাখার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিরোধপূর্ণ জমিতে সাঁওতালদের রোপণ করা ধান তাদের বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত একটি রুল জারি করেছে। রিটকারীদের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বিবিসিকে জানান, হাইকোর্ট বলেছে, ওই জমিতে সাঁওতালদের রোপণ করা ধান হয় তাদের কাটতে দিতে হবে, নাহলে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন ধান কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেবে। হাইকোর্ট কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছেন। বাংলাদেশের গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তি এবং পুনর্বাসনসহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নির্দেশনা চেয়ে বুধবার দেশটির হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে তিনটি বেসরকারি সংস্থা। বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কারণ এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রিট আবেদনে। শুনানি শেষে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সংঘর্ষের ১১দিন পরেও শঙ্কায় রয়েছে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা পাশাপাশি উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাঁওতালদের নিরাপত্তার জন্য কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এবং উচ্ছেদের সময় ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় কয়টি মামলা হয়েছে, তা পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতে জানানোর জন্য স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ নভেম্বর। সংঘর্ষের ১১দিন পরে মামলা এদিকে ঘটনার প্রায় ১১দিন পর সাঁওতালদের পক্ষ থেকে একটি মামলা নিয়েছে গোবিন্দগঞ্জের পুলিশ। বুধবার রাতে স্বপন মুরমু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সাঁওতালদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৬০০জনকে আসামী করে মামলাটি করা হয়েছে। তবে সাঁওতাল নেতাদের দাবি, স্বপন মুরমু তাদের পক্ষ থেকে মামলা করেননি। এই মামলার বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। তারা আলাদাভাবে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। | গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমির ধান সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | কালাদান নদীতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি নৌযান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এ সপ্তাহেই জানিয়েছেন কালাদান প্রকল্পে এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে এবং মিয়ানমারে যাই ঘটুক না কেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই ভারতের বিশ্বাস। দিল্লিতে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে ভারতের যে কোনও অস্বস্তি নেই এটা তারই প্রমাণ। পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমুদ্র-সংযোগের জন্য বাংলাদেশ রুট ছাড়াও যে অন্য বিকল্প আছে, কালাদান প্রকল্প দ্রুত শেষ করে দিল্লি সেই বার্তাও দিতে চায় বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। কিন্তু কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্ট বা সংযোগ প্রকল্পটা আসলে ঠিক কী? কালাদান প্রকল্পের রুট ভারতের কলকাতা থেকে প্রথমে সমুদ্রপথে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর। তারপর কালাদান নদীপথে পালেতোয়া, সেখান থেকে সড়কপথে ভারতের মিজোরাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল - সংক্ষেপে এই হল কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্টের রুট। প্রায় সাত বছর আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে এখন সেখানে কাজ চলছে ঝড়ের গতিতে, আর দুদিন আগে আসাম সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিয়েছেন মিয়ানমারে ক্ষমতায় কারা আছে, তার সঙ্গে কালাদানের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি সেখানে বলেন, "কালাদান আসলে মিয়ানমারের খুব দুর্গম একটা এলাকায় অবস্থিত। তারপরও প্রজেক্টের অনেকটা অংশ, যেমন সিতওয়ে সমুদ্রবন্দর, পালেতোয়া নদীবন্দর চালু হয়ে গেছে।" আরও পড়তে পারেন: ভারত কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারছে? রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের পক্ষে বাস্তবে কতটা কী করা সম্ভব? রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে গিয়ে কী বার্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ আসাম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর "নদীর নাব্যতা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় প্রজেক্টে আমাদের রাস্তার অংশটা বাড়াতে হয়েছে, আর দেরিটা হয়েছে সেখানেই। "কিন্তু এখন আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে প্রকল্পের কাজ আমরা দ্রুতই শেষ করে ফেলব", জানান মি জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে এমাসের গোড়ায় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারত কিন্তু একবারের জন্যও 'ক্যু' বা অভ্যুত্থান শব্দটা ব্যবহার করেনি। দ্য হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার ডিপ্লোম্যাটিক এডিটর রেজাউল লস্কর বিবিসিকে বলছিলেন, সামরিক জান্তা-র আমলেও কালাদান প্রকল্পের কাজ যাতে ব্যাহত না-হয় ভারত আসলে সেটাই নিশ্চিত করতে চায়। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গনের রাজপথে প্রতিবাদ তার কথায়, "মনে রাখতে হবে মিয়ানমারে যে সামরিক বাহিনী আছে বা যে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল, উভয়ের সঙ্গেই ভারতের বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। এবং মিয়ানমারে পাওয়ার সেন্টার বা ক্ষমতার কেন্দ্র যারাই হোক, তাদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়াই ভারতের অভিপ্রায়।" "সে কারণেই কালাদান প্রজেক্টের কাজ নিয়ে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের প্রথম কোয়ার্টারে প্রকল্পের একটা অংশ চালু করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল সেটাও এখনও বহাল আছে।" কালাদান প্রকল্প মিয়ানমারের যে দুটো প্রদেশের ভেতর দিয়ে গেছে, সেই চিন আর রাখাইনে বেজিংয়ের প্রভাবের মোকাবিলা করাও ভারতের একটা প্রধান লক্ষ্য, মনে করছেন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো জয়িতা ভট্টাচার্য। মিস ভট্টাচার্য বিবিসিকে বলছিলেন, "চীন স্টেট আর রাখাইন, দুটোতেই কিন্তু চীনের অনেক সংশ্লিষ্টতা আছে। ফলে ভারত মনে করে সেখানে কালাদান নিয়ে তাদের পিছপা হলে চলবে না।" "তা ছাড়া ভারত যে মিয়ানমারের আর্মির প্রতি আজকে হঠাৎ 'সফট' হয়ে উঠেছে, বিষয়টা কিন্তু সেরকম নয় মোটেই। সেই ১৯৯০ থেকেই সম্পর্কের এই রূপান্তরটা ঘটেছে, আর তা ভারতকে অনেক ডিভিডেন্ড বা সুফলও এনে দিয়েছে।" সিতওয়ে বন্দরের কাছে কালাদান নদীতে মাছ ধরছেন ধীবররা "স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকেও বঙ্গোপসাগরকে ভারত ছাড়তে পারবে না। সেখানেও ভারতের এনগেজমেন্ট বা ইনভলভমেন্ট দরকার, কালাদান সেটাও নিশ্চিত করছে।" "সব চেয়ে বড় কথা, ভারতের এখন রাষ্ট্রীয় নীতিই হল প্রতিবেশী দেশগুলোতে যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন তার রাজনৈতিক চরিত্র বিচার্য নয় - বরং সম্পর্কটা হবে দুটো দেশের সরকারের মধ্যে", বলছিলেন জয়িতা ভট্টাচার্য। ফলে অন্যভাবে বললে নেপিডো-তে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় কি না, সেটা এখন ভারতের কোনও মাথাব্যথা নয়। রেজাউল লস্করের কথায়, ভারতের বরং অগ্রাধিকার হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য চট্টগ্রাম-মংলার পাশাপাশি অন্য একটি বিকল্প বন্দরেও অ্যাকসেস। মি লস্কর বলছিলেন, "কালাদান পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য সমুদ্রপথে আর একটা নতুন রাস্তা খুলে যাবে - কারণ তারা তখন সিতওয়ে বন্দরের অ্যাকসেস-টা পেয়ে যাবে।" কালাদান নদীপথে বাঁশ নিয়ে স্থানীয়দের যাত্রা "এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব ভারতের যা সমুদ্রবন্দরের অ্যাকসেস, তার সবটাই বাংলাদেশের মাধ্যমে - সে আপনি চট্টগ্রাম বন্দরই বলুন, কিংবা মংলা।" "ভারতের এই কানেক্টিভিটি অপশনগুলো আরও ডাইভার্সিফাই করার ভাবনা তাই স্বভাবতই আছে। সিতওয়ে বন্দর চালু করে কালাদান প্রকল্পের কাজ শেষ করা গেলে ঠিক সেটাই হবে - বিকল্প একটা সমুদ্রপথ খুলে যাবে।" "ফলে আপনি বলতে পারেন কালাদান আসলে বাংলাদেশকেও একটা বার্তা দেওয়া - যে ভারতের কিন্তু আরও অন্য অপশনও আছে", বলছিলেন রেজাউল লস্কর। কালাদান প্রকল্প শেষ হলে তা রাখাইন প্রদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রাস্তা খুলে দেবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথকে প্রশস্ত করবে, ভারতের পক্ষ থেকে এই যুক্তিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ যে চায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ভারত মিয়ানমারের ওপর বেশি করে চাপ প্রয়োগ করুক, সেই প্রত্যাশা মেটার কোনও লক্ষণ কিন্তু এখনও দেখা যাচ্ছে না। | মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদল হলেও সে দেশে রাখাইন প্রদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতের অর্থায়নে যে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের কাজ চলছে, তা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না বলে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আভনগার্ড হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নাম আভনগার্ড হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চলে শব্দের চেয়ে বিশগুণ বেশি গতিতে। রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এটি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে গিয়ে হামলা করতে সক্ষম এবং একে ঠেকানোর মতো প্রযুক্তি এখনো পর্যন্ত কারও হাতে নেই। সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ গত বুধবার রাশিয়া এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পরীক্ষামূলকভাবে। রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের উরাল পর্বতমালা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়, এরপর এটি গিয়ে আঘাত করে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আভনগার্ড হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণকে তাঁর দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং তার দেশের জন্য এক বিরাট ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পুরোপুরি সফল হয়েছে। এটির যে কারিগরি এবং কৌশলগত সব বৈশিষ্ট্য- তার সবই এই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। মস্কোর ন্যাশনাল ডিফেন্স সেন্টার থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসভ দাবি করেছেন, পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি ছিল ঘন্টায় প্রায় ৩৩ হাজার ২০২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পার্থক্য কী ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পল ইংগ্রাম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছেন, ব্যালিস্টিক মিসাইলের সঙ্গে হাইপারসোনিক মিসাইলের পার্থক্য। এখন যে ধরণের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রচলিত, সেগুলো ছোঁড়া হয় রকেটের মতো। ফলে একবার উৎক্ষেপন করার পর এর ট্রাজেক্টরি বা সম্ভাব্য গতিপথ মোটামুটি অনুমান করা যায়। শত্রুপক্ষ তখন সে অনুযায়ী তাদের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু হাইপারসোনিক মিসাইলের প্রযুক্তি একেবারেই ভিন্ন ধরণের। এটি উৎক্ষেপনের পর খুব দ্রুত উপরে উঠে যায়। তারপর আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে এটি বায়ুমন্ডলের মধ্যেই চলতে থাকে। চলমান অবস্থাতেও এর গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। তার মানে হচ্ছে এটি কোন দিকে যাবে আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। ফলে এটি মাঝপথে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। কীভাবে এটি বদলে দিতে পারে শক্তির ভারসাম্য রাশিয়াকে বিশ্বের এক নম্বর সামরিক শক্তিতে পরিণত করতে চান প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সফল পরীক্ষার পর এতটাই উচ্ছ্বসিত যে, তিনি রুশ ব্যবসায়ীদের নাকি বলেছেন, এখন আর রাশিয়াকে হুমকি দেয়ার মতো কোন শক্তি বিশ্বে নেই। আসলেই কি তাই? রুশ-মার্কিন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় রাশিয়া কি অনেক বেশি এগিয়ে গেল? ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পল ইংগ্রাম বলছেন, রাশিয়ার দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখন পুরোপুরি সেকেলে অস্ত্রে পরিণত হলো। আরও পড়ুন: রুশ-মার্কিন সামরিক দ্বন্দ্বে ফিরে আসছে দ্বিতীয় নৌবহর রাশিয়া পরমাণু চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি গর্বাচভের স্নায়ুযুদ্ধ আবার ফিরে আসছে বিশ্বে? রাশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও এই হাইপারসোনিক প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করছিল। তারা এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মোতায়েনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ তারা করতে পারেনি। পল ইংগ্রাম বলেন, রাশিয়ার হাতে এরকম ক্ষেপণাস্ত্র থাকার মানে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, অর্থাৎ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে গেল। কারণ তারা এতদিন পর্যন্ত ব্যালিস্টিক মিসাইলের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। ব্যালিস্টিক মিসাইল ঠেকানোর জন্যই তাদের পুরো ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তুলেছে। তাদের সেই প্রযুক্তি দিয়ে রাশিয়ার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো যাবে না। এর মানে হচ্ছে রাশিয়া এখন স্বস্তিতে থাকতে পারবে এই ভেবে যে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। কবে নাগাদ এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে হাইপারসোনিক ক্ষেপনাস্ত্র থামানোর প্রযুক্তি এখনো কোন দেশের হাতে নেই। আগামী বছর থেকে রাশিয়া এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল হওয়ার পরপরই একথা জানিয়েছেন। যেদিন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়, সেদিন তিনি মস্কোর ন্যাশনাল ডিফেন্স সেন্টার পরিদর্শন করেন। এর আগে এ বছরেরই মার্চে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাদের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যে রাশিয়াকে বিশ্বের এক নম্বর সামরিক শক্তিতে পরিণত করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্চে দেয়া এক ঘোষণায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধের সময় যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে ভূমি থেকে নিক্ষেপনযোগ্য মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে, রাশিয়াও নতুন করে মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। | রাশিয়া একেবারে নতুন ধরণের এক হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শিশু ধর্ষণ নিয়ে ভারতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এমন এক দিনে শিশু-ধর্ষণের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মন্ত্রীসভা, যেদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ৮ মাস বয়সী এক সদ্যোজাত কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ইন্দোরের পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শহরের অভিজাত এলাকার ফুটপাথে যখন ওই সদ্যোজাত কন্যা-শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল, তখনই তাকে অপহরণ করে এক যুবক। তাকে একটি হোটেলের বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। বেলার দিকে ওই কন্যা-শিশুর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ওই শিশুটিরই এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতে সম্প্রতি শিশু ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে ৮ বছরের এক কন্যা-শিশুকে সাতদিন ধরে অপহরণ করে গণধর্ষণ ও তারপরে হত্যা করার ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করে 'পকসো আইন' বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন রোধী আইন সংশোধন করা হবে। একই সঙ্গে বদল ঘটানো হবে ভারতীয় দণ্ডবিধিতেও। বর্তমানে আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হল আজীবন কারাবাস, আর সর্বনিম্ন শাস্তি ৭ বছরের জেল। তবে ধর্ষণের পরে যদি নির্যাতিতা মারা যান বা চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েন, সেই সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বছর কয়েক আগে আইন বদল হয়েছে। আরও পড়ুন: পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কিম? রাশিয়ার নিখোঁজ জিহাদী নারীদের ঘিরে রহস্য ভারতে একবছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ধর্ষণের জন্য ফাঁসির দাবিতে কাশ্মীরে বিক্ষোভ মিছিল ধর্ষিতা শিশুর জীবন নাশের হুমকি বাড়বে? যদিও শনিবার মন্ত্রীসভা আইন বদল করে শিশু-ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে এ নিয়ে ভারতে বিতর্কও রয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল গত আটদিন ধরে অনশন করছেন ধর্ষকদের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়ার দাবীতে। নির্যাতিতাদের পরিবারগুলিও প্রায় সবক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। অন্যদিকে অনেক নারী ও শিশু অধিকার কর্মীরা মনে করেন যে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার বিধান আনলে ধর্ষিতাকে প্রাণনাশের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ফাঁসির সাজা হওয়ার আশঙ্কায় সাক্ষ্য-প্রমাণ ধ্বংস করতে তাকে হত্যার পথ নিতে পারে ধর্ষকরা। নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বিবিসিকে বলেন, "আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী নই। যদি ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি হওয়াই উচিত। কিন্তু ভয়টা হচ্ছে, যদি ধর্ষণের সাজা ফাঁসি হয়, তাহলে ধর্ষিতার বেঁচে থাকার যেটুকু সম্ভাবনা থাকে, সেটাও শেষ হয়ে যাবে। কারণ তখন ধর্ষক ভাববে, মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে তাকে তো ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।" সর্বভারতীয় স্তরে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'ক্রাই' বলছে - শিশুদের ওপরে নির্যাতন বন্ধের জন্য সরকারকে একটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হত, কিন্তু যেভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা কিছুটা 'নীজার্ক রিঅ্যাকশন'।" সংস্থাটির অন্যতম ডিরেক্টর কোমল গানোত্রা বলছেন, "৯৫% ক্ষেত্রেই যেহেতু শিশুর ওপরে নির্যাতনকারীরা তাদেরই পরিচিত, তাই এবার থেকে হয়ত বাড়ির চার দেওয়ালের বাইরে ধর্ষনের ঘটনাগুলো আর বেরবেই না।" অনেক অধিকার আন্দোলন কর্মী এমনে অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে দিল্লিতে গণ-ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার পর আইনে অনেক কড়াকড়ি করা হলেও, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে ছাড়া কমছে না। ভারতে সব ধরণের অপরাধের যে সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো বা এন সি আর বি, তাতে দেখা গেছে ২০১৬ সালে সারা দেশে ধর্ষিতা হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার কন্যা শিশু। এই পরিসংখ্যান অবশ্য শুধুই কন্যা-শিশুদের ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন একটা বিরাট সংখ্যক পুত্রশিশু বা কিশোরেরাও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে ভারতে - যার একমাত্র সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল ২০০৭ সালে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যেই দেখা যাচ্ছে যে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশী শিশু ধর্ষণের মামলা ভারতের নানা আদালতে চলছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার হারও মাত্র ২৮ শতাংশ। | ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা শনিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও শিশুকে ধর্ষণ করার জন্য এবার থেকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে। আইন সংশোধন করতে একটি অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.