instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
টিকার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন রাহাত আহমেদ রাফি তিনি বলছেন, ''আমার কোন ভয় লাগেনি। মানুষ তো মরণশীল, আজ হোক কাল হোক মারা যেতে হবে। এর মধ্যে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা।'' তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করে এটির কার্যকারিতা ও কতটুকু নিরাপদ, সেটা যাচাই করা হয়। চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-সেহা এবং গ্রুপ-৪২ নামের একটি কোম্পানি এই পরীক্ষা শুরু করেছে। এর আগে চীনে এই টিকার প্রথম আর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হয়। দুইশর বেশি দেশের নাগরিক থাকায় তৃতীয় দফার পরীক্ষার জন্য আবুধাবিকে বেছে নিয়েছেন গবেষকরা। তৃতীয় দফায় সফল হলে সেই টিকার অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। আবুধাবি এবং আল আইন শহরে পরীক্ষায় অংশ নিতে সাত হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দেশটিতে প্রথম টিকা নিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান। তাদেরই একজন বাংলাদেশি ২৬ বছর বয়সী তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমি রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার হিসাবে এখানকার করোনা টেস্টিং সেন্টারে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। আমার দায়িত্ব যারা টেস্ট করাতে আসবেন, তার নাম-ঠিকানা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা।'' ''যখন জানতে পারলাম যে, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবী চাওয়া হচ্ছে, তখন আমিও ইন্টারনেটে নাম তালিকাভুক্ত করি। এরপর কয়েকদিন পরে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪শে জুলাই তারিখে আমাকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে। ২১দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেবে।'' তিনি জানান, আবুধাবিতে বিনামূল্যে টিকার পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বেচ্ছাসেবী চাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে অনলাইনে আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যাদের শরীরে গুরুতর কোন রোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকেই টিকা দেয়ার জন্য বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় মানুষজনই বেশি। টিকা দেয়ার পর তার হালকা মাথা ঘোরানো ছাড়া অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান। 'টিকা দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা, বর্তমানে কেমন লাগছে, সেটা জানতে চাইছে। তারা সবসময় আমাদের ফলোআপে রাখছে। তিনদিন পরপর তাদের অফিসে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেছে'', বলছেন রাহাত আহমেদ। আগামী একবছর এভাবে তাদের ফলোআপে রাখা হবে বলে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ধারণা দেয়া হয়েছে। আপাতত তাকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকার জন্য বলা হয়েছে। তিনি ছাড়া আর কোন বাংলাদেশি এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে তার জানা নেই বলে জানান রাহাত আহমেদ। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে? টিকার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যেসব রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা বানানোর জন্য তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস টিকা "নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধে সম্ভাবনাপূর্ণ" জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০শে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। সিলেট থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি আবুধাবিতে যান। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যবসা করতে শুরু করেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে থাকার সময়েও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাহাত আহমেদ রাফি। তাই আবুধাবিতে গিয়েও রেডক্রিসেন্টের সঙ্গে যুক্ত হন। এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আর্থিক কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না। আবুধাবির পত্রিকা দ্যা ন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে। টিকার দুইটি ডোজ দেয়ার পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, সেটা বোঝার জন্য তাদের কয়েক মাস ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ইনজেকশনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের একটি নিষ্ক্রিয় সংস্করণ ঢুকিয়ে দেয়া হবে। শরীরের ভেতর প্রবেশ করে সেটি অ্যান্টিবডি বা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি করবে। জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০শে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের ধারণা, মানবদেহে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে। চীনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানির একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে নৈতিক অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি)। তবে এখনো বাংলাদেশে তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমোদন পাওয়া যায়নি, যদিও ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা পরীক্ষা শুরু করেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশ সীমান্তে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার ভারতীয় মালয়েশিয়ায় শ্রমিক দূর্ভোগ নিয়ে মন্তব্য করে আটক রায়হান কবির কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা ও নির্দেশনায় এসেছে পরিবর্তন রহস্যময় টি-সেলই কি কোভিডের বিরুদ্ধে আসল সুরক্ষা?
করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে, সেরকম একটি পরীক্ষায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ট্রাফিক সিগন্যালে একসঙ্গে কয়েকশ গাড়ির হর্ন বাজানোকে শব্দ দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল। পরিবেশ অধিদফতরের গত বছরের জরিপে দেখা যায় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় শব্দের মানমাত্রা ১৩০ ডেসিবল ছাড়িয়ে গেছে। যা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে আড়াই থেকে তিনগুন বেশি। শব্দ দুষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে উঠে এসেছে রাজধানীর পল্টন , শাহবাগ ও ফার্মগেট, মতিঝিল, রামপুরাসহ কয়েকটি এলাকার নাম। যানবাহনের হর্ন, ভবনের নির্মাণকাজ, কল কারখানা, এবং মাইকিংয়ের বিশেষ করে সিগন্যালগুলোতে একসঙ্গে কয়েকশ গাড়ি হর্ন বাজানোকে শব্দ দুষণের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ি করছেন সাধারণ মানুষ। আরো পড়ুন: 'শুধু বাজি কেন, আজানেও তো শব্দ দূষণ হয়' 'পরিকল্পনার অভাবে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে' মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১২% মানুষ শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে পরিবেশ অধিদফতরের সাম্প্রতিক জরিপে উঠে আসে। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ , ফুসফুসজনিত জটিলতা , মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। এক্ষেত্রে শিশু ও প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে বলে জানান পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। এক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি। শব্দ দূষণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০০৬ সালের শব্দদূষণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সেটা রয়েছে শুধু কাগজে কলমে। বিধি অনুযায়ি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ের সামনে এবং আবাসিক এলাকায় হর্ন বাজানো, মাইকিং করা সেইসঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জোরে শব্দ সৃষ্টি করা আইনত দণ্ডনীয়। তবে সেই আইনের কোন প্রয়োগ নেই। শব্দ দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে একেই প্রধান কারণ হিসেবে দায়ি করা হচ্ছে। শব্দ দূষণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্টার ফর হিয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন' ১৯৯৬ সাল থেকে শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করে আসছে। তবে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে।
রাজধানীর বনানী আবাসিক এলাকাটি নীরব এলাকা হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরে তালিকাভুক্ত হলেও এখানে যানবাহনের হর্নের শব্দে এক স্থানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয়না। এমনই পরিস্থিতি রাজধানীসহ পুরো দেশের।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে এক-এগারোর পর সৃষ্ট রাজনৈতিক পটভূমিতে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার অবস্থান রাজনীতিতে আরও সংহত হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের নানা কর্মকাণ্ড - বিশেষ করে রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ক্ষমতাগ্রহণের শুরুতে তাদের ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল কেন? পরবর্তী রাজনীতিতে সেটি কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে? এ নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা এবং বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখার কিছু তৎপরতা তখন দৃশ্যমান হয়েছিল। কিন্তু সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মাহসচিব রুহুল কবির রিজভী মনে করেন তৎকালীন সরকার বাস্তবতা আঁচ করতে না পারায় ব্যর্থ হয়েছিল । মি: রিজভী বলেন,"শুভ ইচ্ছা তাদের মধ্যে ছিলোনা বলেই তারা এই অবজেক্টিভ কন্ডিশনটা তারা অ্যানালাইজ করতে পারেনি যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কতটুকু জনপ্রিয় সেটা যাচাই করতে পারেনি।" দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানে বড় রাজনৈতিক দরগুলোর অনেক সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে বিশেষ আদালতে তাদের সাজাও হয়েছিল। বড় দু'টি দল - আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিতে দলীয় 'সংস্কার' করার উদ্যোগ নিয়েছিল সে সরকার। তাদের ভাষায় রাজনীতি 'ক্লিন বা পরিষ্কার' রাখার জন্যই ছিল সে চেষ্টা। এক-এগারোর পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হয়ে গৃহবন্দী থাকতে হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। 'শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার অবস্থান আরও সংহত হয়েছে' রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী মনে করেন তথাকথিত রাজনৈতিক সংস্কার চেষ্টা ব্যর্থ হবার কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং দলের ভেতরে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার অবস্থান আরও সংহত হয়েছে। তিনি মনে করেন, দলের ভিতরে এখন এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার মতো সাহস বা ইচ্ছা কারো নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন , "অনেককে তো পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এছাড়া যারা আছে তারা খুব ভীত-সন্ত্রস্ত । কারণ এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এই দুই নেত্রীকে ছাড়া বাংলাদেশের পলিটিক্সকে (রাজনীতিকে) সামাল দিতে পারে না এমনকি আর্মিও পারছিলো না।" বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার তাদের কাজের পরিধি এতটাই বিস্তৃত করেছিল যে অনেক বিষয় তাদের আওতার মধ্যে ছিলনা । শীর্ষ দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরানোর তৎপরতা দেখা যায় এক-এগারোর পর। সেসময় গ্রেপ্তার হন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া । দুই শীর্ষ নেত্রীকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখার তৎপরতা শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার এবং তাদের দু'জনকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখার যে চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটি বাদ দিলে সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে অনেকেই সমর্থন করেছিল। রাজনীতিবিদরা নাখোশ হলেও রাজনৈতিক সংস্কারের সে উদ্যোগকে নাগরিক সমাজের অনেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমর্থন করেছিল। তবে রাজনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, ২০০৭ সালের পরিস্থিতি তাদের আরও সাবধানী করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, " ১/১১র সময় অনেকে সচেতন হয়েছে যে সচেতনতাগুলো ছিলোনা আগে । কিছুটা উদাসীনতা ছিল রাজনীতিবিদদের মধ্যে।" ড: ফখরুদ্দিন আহমেদ সরকার প্রধান থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। কেন তারা দুই নেত্রীকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন, সেটির পরিষ্কার কোন জবাব তার মুখ থেকে পাওয়া কখনোই পাওয়া যায়নি। তবে মইন ইউ আহমেদ তার প্রকাশিত একটি বইতে লিখেছেন, তাদের চলার পথে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সফলতাই ছিল বেশি। ড: ফখরুদ্দিন আহমেদ সরকার প্রধান থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। সে বইয়ের তিনি লিখেছেন.. "তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব কাজে সহযোগিতা করা কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া নয়" । মইন ইউ আহমেদ বর্ণনা করেন, "আমি দেশকে লাইন-চ্যুত ট্রেনের সাথে তুলনা করেছিলাম । আমরা ট্রেনটিকে লাইনে উঠিয়ে তার প্রকৃত চালক রাজনীতিবিদদের হাতে দেশকে তুলে দিতে সহায়তা করেছি । আমাদের সর্বাত্মক এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতো যদি জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে এসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করতো।" আলোচনা-সমালোচনা যাই থাকুক না কেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তনের ১৬ বছর পর রাজনীতিতে নতুন করে সামরিক হস্তক্ষেপ অনেককেই চমকে দিয়েছিল। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে একটি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তৎকালীন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব এবং সরকার একটি গভীর বৃত্ত থেকে সফলভাবে বের হয়ে আসে। আরও পড়ুন: মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে সেদিন বঙ্গভবনে যান জেনারেল মইন বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাসের রেকর্ডের অপেক্ষা
বাংলাদেশে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি জরুরী অবস্থা জারীর মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতায় আসে ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সংবাদ সম্মেলনে আইজীবীকে সাথে নিয়ে জেসিকা ট্রেইড এ নিয়ে ১১ জন নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন। তবে মি: ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি এসব নারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পর্নো তারকা এবং যৌন বিষয়ক শিক্ষক ৪২ বছর বয়সী জেসিকা ড্রেইক শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দশ বছর আগে ট্রাম্প তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন এবং অনুমতি না নিয়েই তার ঠোঁটে চুমু দিয়েছিলেন। এরপর ট্রাম্প জেসিকা ড্রেইককে তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে যেতে বলেন। জেসিকা ড্রেইক জানান ডে ট্রাম্প তাকে প্রস্তাব দেন, তার কক্ষে এবং পার্টিতে গেলে জেসিকাকে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। জেসিকা ড্রেইক প্রমান হিসেবে একটি গলফ মাঠে ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি ছবিও দেখান। মি: ট্রাম্পের সাথে নিজের ছবিও দেখান জেসিকা ড্রেইক আইনজীবী গ্লোরিয়া অ্যালরেড এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেন। এর আগে মিস অ্যালরেড ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরো দুই অভিযোগকারীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি জানিয়েছে, ওই নারীর অভিযোগ মিথ্যা এবং হাস্যকর। মি: ট্রাম্প এই নামে কাউকে চিনেন না এবং চেনার প্রয়োজনও বোধ করেন না। এটা বিরোধী প্রার্থী হিলারির আরেকটা কারসাজি। এদিকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, তিনি প্রচারণায় ট্রাম্পের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেবেন না, তিনি মূলত বিভিন্ন ইস্যুকে জনগণের সামনে তুলে ধরবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন পর্নো তারকা জেসিকা ড্রেইক।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
এই নিয়ে বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে নয় হাজার ২১৩ জনের। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারের বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬,৪৬৯ জন। শুক্রবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬,৮৩০ জন। যদিও অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪,৫৪৮ নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩.১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন রেকর্ড বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ'র জন্য হাহাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২,৩৬৪ জন। বাংলাদেশে মোট সুস্থ হলেন পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন। গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। গত বছর ২রা জুলাই সর্বোচ্চ ৪,০১৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল। তবে এবছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কিছুদিন দশের নিচে ছিল। কিন্তু তাতেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বগতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে আবার লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইতোমধ্যে বলেছেন, সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের 'লকডাউন' ব্রিটেনে ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক বাংলাদেশি নির্জন কারাবাসের অবর্ণনীয় যন্ত্রণার কিছু অভিজ্ঞতা সহিংসতার দোষারোপ মাথায় নিয়ে এখন কী করবে হেফাজত
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন ৫,৬৮৩ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মঙ্গলবার ভোর চারটায় ঢাকার আফতাব নগরে হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়। বাসায় হার্ট অ্যাটাক করার পর তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মি: বুলবুল গত প্রায় এক বছর ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল। বিবিসির সাথে গানগল্প: আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিনি ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। মি: বুলবুল ছিলেন একাধারে গীতিকার সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। বাংলাদেশের কয়েকশ চলচ্চিত্রে মি: বুলবুল সংগীত পরিচালনা করেছেন। এসব গান দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এক সময় তাঁর সুরকরা গানগুলো ছিল শ্রোতা-দর্শকদের মুখে-মুখে। তাঁর লেখা এবং সুরকরা বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা এবং সামিনা চৌধুরী। 'সব কটা জানালা খুলে দাও না', 'আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন', 'পড়ে না চখের পলক', 'আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে', 'আম্মাজান আম্মাজান', 'ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী', 'চিঠি লিখেছে বউ আমার', 'জাগো বাংলাদেশ জাগো' - এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর করেছেন তিনি। মি: বুলবুল মাত্র ১৫ বছরে বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন। আরো পড়ুন: কোন গান বা সুর মাথায় গেঁথে যায় কেন? ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গান জনপ্রিয় কিভাবে হল? বাংলাদেশকে কী দিয়ে গেলেন ব্যান্ড গানের আইয়ুব বাচ্চু?
বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত গীতিকার এবং সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মারা গেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনেকেই যেমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, সেরকম অনেকেই এই হামলার ঘটনার সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে মি. জাফর ইকবালের মৃত্যুকামনা করে এই হামলাকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই আক্রমণ সমর্থন করে করা মন্তব্য কি উস্কানিমূলক হিসেবে বিবেচনা করে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে? এরকম ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান। "অপরাধ ঘটানোর পর ঘটনাকে সমর্থন করে কোনো বক্তব্য দিলে যারা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটায় তারা আরো উৎসাহ পেয়ে থাকে। ঘটনা সমর্থন করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।" মি. আলিমুজ্জামান বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বা আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বা যার মাধ্যমে অপরাধ কর্মকান্ডে মানুষ উদ্বুদ্ধ হতে পারে সেটিও অপরাধ। সেই হিসেবে অনলাইনে মন্তব্য করে অপরাধ সমর্থন করাকে প্ররোচনামূলক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এই ধরনের মন্তব্য প্রতিহত করতে সাইবার ক্রাইম বিভাগ কাজ করে থাকে বলে জানান মি. আলিমুজ্জামান। "কিছু বিষয়ে আমার কাউন্টারিং করে থাকি। পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে খুব বেশী পরিমাণে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেসব ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করে থাকি আমরা।" তবে সঠিক ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাইবার ক্রাইম বিভাগকে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান মি. আলিমুজ্জামান। "ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থার সাথে বিভিন্ন স্তরে কাজ করতে হয়। নিজেদের নীতিমালা বহির্ভূত হলে ফেসবুক সবসময় সব তথ্য প্রদান করে না।" মি. আলিমুজ্জামান বলেন এই বিভাগের সক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তিও।
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার খবর অনলাইন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মানুষের দ্বিমুখী প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ড. রোল্যান্ড গেয়ার নামের এক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, "এই পৃথিবী খুব দ্রুতই পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে।" যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ ৮.৩ বিলিয়ন টন। আর তাদের হিসেবে ২০৫০ সাল নাগাদ প্লাস্টিকের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ বিলিয়ন টন। কোনোই সন্দেহ নেই যে প্লাস্টিক একটি অতি আশ্চর্য উপাদান। স্থায়িত্ব এবং উপযোগিতার কারণেই ইস্পাত, সিমেন্ট এবং ইট ছাড়া মানুষের তৈরি আর সব কিছু থেকে এই জিনিসটির উৎপাদন হার বেশি। আর সেই সংখ্যাটি হলো ৮.৩ বিলিয়ন টন! যা কিনা নিউ ইয়র্কের ২৫ হাজার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং-এর সমান। কিংবা ১ বিলিয়ন হাতির ওজনের সমপরিমাণ। আর এই বিশাল পরিমাণ উৎপাদিত প্লাস্টিকের প্রায় ৭৯ শতাংশই ছড়িয়ে পড়েছে খোলা প্রকৃতিতে। প্লাস্টিক বর্জ্যে দিনে দিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। ড. রোল্যান্ড গেয়ার নামের এক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, "এই পৃথিবী খুব দ্রুতই পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে। আর যদি আমরা এমনটা না চাই, তাহলে বিশেষ করে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে" বলেই তাঁর মত। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিস্ট প্লাস্টিকের উৎপাদন এবং ব্যবহার ও দূষণ সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। আর তাতে দেখা যাচ্ছে যে, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্যের অন্তত অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে গত ১৩ বছরে। বাতিল প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার হয়েছে শতকরা মাত্র ৯ভাগ। ১২শতাংশকে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে আর বাকিটা ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতিতে। আশংকাজনক হারে ছড়িয়েছে সাগর মহাসাগরে। গবেষণা দেখা গেছে যে, ২০১৪ সালে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য হার ইউরোপে ছিল শতকরা ৩০ভাগ। সবচেয়ে কম রিসাইক্লিং হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মাত্র ৯ শতাংশ। আর এই অধিকহারে উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫০ এর সময় থেকে। যেহেতু প্লাস্টিক পণ্য পচনশীল নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এটিকে অত্যন্ত তাপ প্রয়োগ করে নি:শেষ করে দেয়া দরকার। কিন্তু তারচেয়েও বেশী জরুরি প্লাস্টিকের সঠিক প্রয়োজন নিরুপণ করে তারপর এর উৎপাদনে যাওয়া। আর এর জন্যে দরকার একটি সমন্বিত আলোচনা। আরো পড়ুন: ভূমিকম্প প্রবণ স্থানে গভীর গর্ত খুঁড়ছে কেন ভারতীয়রা? অচল ঢাকাকে সচল করা কি আদৌ সম্ভব? এখনও অটুট হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের বিক্রি গবেষকরা বলছেন, বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্যের অন্তত অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে গত ১৩ বছরে।
প্লাস্টিকের অধিক উৎপাদন এবং খোলা প্রকৃতিতে এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বাড়ছে আশংকাজনক হারে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার ফলে দেড় শতাধিক আসনে কোন ভোট গ্রহণ হয়নি এবং প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেসব আসনে নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনের আগেও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবি তুলেছিল বিএনপি। এ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছিল - কিন্তু সরকার সে দাবি মানে নি। তবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন এবং সরকারের সাথে কয়েক দফা সংলাপ - পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। বিএনপিসহ প্রায় সব দলই এই নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী হয়। সেদিক থেকে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে গত তিন দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী জানান, এবারের নির্বাচন বেশ কয়েকটি কারণেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ১৮ বছর পর এই প্রথম কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেসামরিক সরকারের অধীনে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনটি পুরোপুরিভাবে অংশগ্রহণমূলক। আরও পড়তে পারেন: ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ-আতংক সংসদ নির্বাচন: দেখে নিন কার ইশতেহারে কী আছে? মোবাইল ফোনে থ্রি জি এবং ফোর জি সেবা বন্ধ এবার নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী দলগুলো মাঠে দাড়াতেই পারেনি বলে অভিযোগ করেছে। এবং তৃতীয়ত, এবার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনও সাংঘর্ষিক মনোভাব বিরাজ করছে। তারা নির্বাচনকে ঘিরে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেই চলছে। অথচ এমন সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতেও সব পক্ষকে নিয়ে একটা নির্বাচন করছে তারা। আফসান চৌধুরী জানান, ২০০৮ এর নির্বাচন হয়েছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তারপর ২০১৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কোন নির্বাচন হয়নি। সেই থেকেই রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। তাই ২০১৮ সালে সবপক্ষের অংশগ্রহণে এই নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না হয় সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যেই দুশ্চিন্তা রয়েছে। এ কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই হবে না। সেটা সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। টেলিভিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার বক্তব্য শুনছেন সাধারণ মানুষ। নির্বাচনটি ভোটারদের কাছে কতোটা গুরুত্ব পাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার চৌধুরী ইশতেহার প্রসঙ্গটি তুলে আনেন। সম্প্রতি নির্বাচনী ইশতেহারের ওপর প্রকাশিত খবরগুলো ঘেঁটে দেখা যায় যে সাধারণ মানুষের কাছে এ ইশতেহারের গুরুত্ব খুব কম। তার মতে রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহারকে গুরুত্ব দিলেও সাধারণ মানুষ ইশতেহার দেখে ভোট দেয় না। তিনি বলেন, "এবারে বড় দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার অনেক শেষ মুহূর্তে এসেছে। এতে বোঝা যায়, আমাদের দেশের রাজনীতির জগতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ না।" আফসান চৌধুরী মনে করেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া খুবই সীমিত। তাদের মূল চাওয়া একটু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, স্বস্তিমূলক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক উন্নতি। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যা আগের যেকোনবারের চাইতে অনেক বেশি। তরুণদের প্রভাব এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যা আগের যেকোনবারের চাইতে অনেক বেশি হওয়ায় তাদের প্রভাবকেও তিনি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। মিস্টার চৌধুরী বলেন, "এই তরুণদের প্রধান চাওয়াগুলো মধ্যে রয়েছে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। তারা যেন নিরাপদে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারে এবং কোথাও যেন কোন সহিংসতা না হয়।" প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ফল মেনে নিতে অস্বীকার করলে? অতীতে এমনটা দেখা গিয়েছে যে, নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছে তারা সেই ফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। তা নিয়ে নতুন রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবারও কি এমন হতে পারে? এ প্রসঙ্গে আফসান চৌধুরী জানান যে, এরইমধ্যে বিএনপি বলেছে যে নির্বাচনে যদি এরকম দুই নম্বরি হয়, তাহলে তারা সেটা মেনে নেবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে, বিএনপি এরইমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করার জন্য। কাজেই এই দুর্ভাবনা থেকেই যায় যে আজকের নির্বাচনে কোন একপক্ষ যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে আমরা নির্বাচন করবো না, তাহলে সেটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, বলছিলেন মি. চৌধুরী। নির্বাচন উপলক্ষে যানবাহনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। কি হলে, দুই পক্ষই ফলাফল মেনে নেবে? নির্বাচনের পরিস্থিতি কেমন হলে এর ফলাফল মেনে নিতে কারোই কোন সমস্যা হবেনা? এ ব্যাপারে আফসান চৌধুরী মনে করেন যে, স্বাভাবিক, কাঠামোগত, পরিপক্ব নির্বাচন হলেই মানুষ সেটা মেনে নিবে। তিনি বলেন, "এই নির্বাচন থেকে মানুষের অসাধারণ গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতা নেয়ার কোন ইচ্ছা নেই। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটটা দেবে, সেই ভোটটা গণনা হবে। তারা এটাই চায়। এই চাওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করারও নেই।" বিরোধীদলের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে যে ভোট কারচুপি শুরু হয়ে গিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকেই বলে আসছে যে এবারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে। সব মিলিয়ে আশা, নিরাশা আর দুর্ভাবনা নিয়েই মানুষ এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী। অন্যান্য খবর: নির্বাচনী এজেন্ট খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে বিএনপি ৯১ সালের পর এই প্রথম হাসিনার বিপক্ষে নেই খালেদা স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়
বাংলাদেশে এর আগের সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে - কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানায় তা বর্জন করেছিল প্রধান বিরোধীদল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
(বাঁ থেকে) রায়হানুল (১৩), সৌরভ (০৮) এবং সবুর (২৪)। এরা সবাই বিরল এক মাসকুল্যার ডিসট্রোফিতে আক্রান্ত ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত নিউরোজেন ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইন ইন্সটিটিউট প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছে। চীনেরও একটি দল এবিষয়ে মি. হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে তাদের সাথে এখনো বিস্তারিত কথা হয়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখে ভারতীয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খানের সঙ্গে। মি. খান বলেন, সংবাদ সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদন ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হলে ঐ প্রতিবেদনে তার একটি মন্তব্য দেখে নিউরোজেনের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। "তারা আমাকে ফোন করে এবং তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে সাহায্য চায়। পরে ইমেইলে তাদের কাছে মি. হোসেনের পরিবারের রোগাক্রান্ত সদস্যদের প্রেসক্রিপশনসহ চিকিৎসার কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তারা চাইছে এই মানুষগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে"। রোগীদের যাতায়াতের খরচ বহন করার বিষয়েও ইমেইলে আগ্রহ দেখিয়েছে মুম্বাইয়ের ঐ চিকিৎসাকেন্দ্র। তোফাজ্জেল হোসেনের লেখা আবেদন পত্রের একাংশ গত ১৯শে জানুয়ারি মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি পাঠান তোফাজ্জেল হোসেন, যেখানে দুরারোগ্য 'মাসকুল্যার ডিসট্রোফি' বা মাংসপেশিতে পুষ্টির অভাবজনিত অসুখে আক্রান্ত দুই ছেলে ও এক নাতির মৃত্যুর অনুমতি প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি জানান, তার ২২-বছর বয়সী বড় ছেলে চলৎশক্তি হারিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সী ছেলে এবং ৭ বছর বয়সী নাতিও দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিবিসির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে তার পাঠানো চিঠির সংবাদ প্রকাশ হবার অনেকে চিকিৎসায় সাহায্য করতে চেয়েছেন। চীনের একটি দলও তার সাথে দেখা করতে চেয়েছে, যারা চীনে তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করে দেখছেন। বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের একটি দল বর্তমানে চিকিৎসায় সহযোগিতা করছেন বলে জানান মি. হোসেন। "তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা যেখানে হয়, সেখানেই তাদের চিকিৎসা করাবো", বলেন মি. হোসেন। ভারতের যে চিকিৎসাকেন্দ্র বিনামূল্যে চিকিৎসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তারা মূলত: স্টেম সেল বা ভ্রুণ কোষের মাধ্যমে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বস্থানীয় একটি হাসপাতাল।
বাংলাদেশের মেহেরপুরে দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখে সাড়া ফেলে দেয়া তোফাজ্জেল হোসেনের দুই ছেলে এবং নাতির বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি হাসপাতাল।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার পর অনেকের মধ্যেই ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তার বাসার দুইজন চাকরিজীবী সদস্যকে প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়। বাসায় বয়স্ক স্বজন রয়েছেন। ''টেলিভিশনে যেসব খবর দেখছি, অনেক দেশে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। সবসময় আতঙ্ক লাগছে, ভয়ে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছি না। ব্লাড প্রেশারও বেড়ে যাচ্ছে।'' তার মতো একই রকম ভয়ে, আতঙ্কে আর মানসিক চাপে ভুগছেন আরও অনেকেই। করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকের মধ্যেই ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। আবার যারা বাসায় থাকছেন, তারাও সারাক্ষণ চিন্তায় থাকছেন কাজের জন্য বাইরে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলছেন, '' মানসিক চাপের বিষয়টি একেক জনের ভেতর একেকরকমভাবে কাজ করে। যখন কোন সংকটের মধ্যে আমরা পড়ি, তাতে একেকজন মানুষ একেকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।'' ''অনেকেই দেখবেন কোন চাপ বোধ করছে না, তারা হয়তো একটা ডিনায়ালের মধ্যে আছে। তারা মনে করছে, অন্যের হবে, আমার হবে না। আবার অনেকে স্বাভাবিক উদ্বিগ্নতা বোধ করছে। আবার অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত চাপ, একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।'' তিন জন নতুন করে আক্রান্ত, কমিউনিটি সংক্রমণের প্রমাণ এখনো মেলেনি করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস তিনি বলছেন, ''বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। খানিকটা উদ্বিগ্নতার উপকারও আছে। সেটা আমাদের সচেতন হতে সহায়তা করে, নিজেদের রক্ষা করতে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।'' কিন্তু উদ্বিগ্নতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের মধ্যে নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। সেটা তার বর্তমান সময়কে মোকাবেলা করতে দুরূহ করে তোলে। তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'' কীভাবে বুঝবেন মানসিক সমস্যার তৈরি হচ্ছে? অধ্যাপক মেখলা সরকার বলছেন, অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হলে উঠলে বা মানসিক চাপে ভুগলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। যখন তখন রেগে উঠছেন। অল্প কিছুতেই তারা অনেক বেশি উত্তেজনা প্রকাশ করছেন। ''কিছু মানুষের মধ্যে শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন বুক ধড়ফড় করতে পারে, মাথা ব্যথা করতে পারে, শ্বাসে সমস্যা হতে পারে। শারীরিক আরও কিছু সমস্যা হতে পারে। এর সাথে অনেকের ঘুমের সমস্যা হতে পারে।'' যেভাবে মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে: মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগবিদ অধ্যাপক মেখলা সরকার। সামাজিক মাধ্যমের সব তথ্যই বিশ্বাস করা যাবে না, নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য গ্রহণ করতে হবে সমস্যাটি মেনে নেয়া প্রথমেই সমস্যা বা সংকটটিকে মেনে নিতে হবে। অধ্যাপক মেখলা সরকার বলছেন, '' বিশ্বজুড়ে চলা বড় একটি সংকটের মধ্যে আমরা যে আছি, প্রথমেই সেটা মেনে নিতে হবে। সেই সঙ্গে ভাবতে হবে, শুধু আমি একা নই, প্রতিটা মানুষ এই সমস্যার ভেতর রয়েছে।'' ভাবতে হবে, এই খারাপ সময়টা কোন অবস্থাতেই স্থায়ী নয়। সবাইকে শুধু অপেক্ষা করতে হবে কখন এই সমস্যাটি কাটবে এবং নিশ্চিতভাবে একসময়ে সমস্যাটি কেটে যাবে। ভীত বা বিহ্বল না হয়ে বরং নিজের ওপর আস্থা রাখুন। শারীরিক দূরত্ব গড়ে তুলুন, তবে মানসিকভাবে কাছে থাকুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মেখলা সরকার বলছেন, শারীরিকভাবে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে কিন্তু মানসিকভাবে নয়। সবার সঙ্গে টেলিফোনে, ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত কথা বলতে হবে, পরস্পরের প্রতি খোঁজখবর নিতে হবে। তাকে প্রতি আন্তরিকতার বিষয়টি প্রকাশ করতে হবে। তাহলে একা থাকলেও, বিচ্ছিন্ন থাকলেও সেটি মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে না। অন্যদের মধ্যেও একটা আস্থা তৈরি হবে যে, আমার পাশে কেউ রয়েছে। বাসায় থাকতে বাধ্য হলেও, পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটান ব্যস্ততার কারণে পরিবারের সঙ্গে অনেকের ঠিকমতো সময় কাটানো হয় না। এখন বাধ্য হয়ে বাড়িতে থাকতে হলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটান। অধ্যাপক সরকার বলছেন, ''শুধুমাত্র মোবাইলে বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করুন, সময় দিন। সামাজিক মাধ্যম থেকে বেরিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাস্তব সময় কাটান। সবাইকে বুঝতে দিন যে, সবাই মিলে একটা সংকট মোকাবেলা করছেন।'' সবসময় করোনাভাইরাস নিয়ে চিন্তা না করা, এসব তথ্যের পেছনে ঘুরে না বেড়ানোই ভালো। বরং নিজেকে করোনাভাইরাসের চিন্তা থেকে, খবর থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য গ্রহণ করুন সংকটের সময়, উদ্বেগের সময় অনেক রকম গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেয়া যায়। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নানাধরনের তথ্য ঘুরে বেড়ায়। এক্ষেত্রে সবার সব ধরণের তথ্য বিশ্বাস করা উচিত হবে না। যাচাই করে সঠিক সংবাদ বিশ্বাস করতে হবে। গুজব বা অচেনা সূত্রের তথ্য বিশ্বাস না করে নির্ভরযোগ্য সূত্র বা মাধ্যমের তথ্য গ্রহণ করতে হবে। ফেসবুকে বা সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো তথ্য আসলেই সেটা বিশ্বাস করা যাবে না, শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য বিশ্বাস করতে হবে। মেখলা সরকার বলছেন, সারাক্ষণ এসব তথ্যের পেছনে ছুটে না বেরিয়ে নির্দিষ্ট একটা ঠিক করে নিয়ে তখন এসব তথ্যের খোঁজ করা যেতে পারে। বই পড়া মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে ফেলে রাখা কাজ গুছিয়ে ফেলুন অধ্যাপক মেখলা সরকার বলছেন, বাসায় থাকতে বাধ্য হলে বা কোয়ারেন্টিনে থাকলে সময়টা ফেলে রাখা কাজের পেছনে লাগানো যেতে পারে। ''আপনি ভালো কয়েকটা বই পড়তে পারেন, সিনেমা দেখতে পারেন। বাসায় বাগান থাকলে বাগানের পরিচর্যা করতে পারেন। ঘরের সাজসজ্জা করা যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইনডোর গেমস খেলা যেতে পারে। এসব কাজের মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজেকে ব্যস্ত রাখা যাবে, তেমনি পজিটিভ কাজের স্মৃতি তৈরি হবে। পরিবারের সঙ্গেও সম্পৃক্ততা বাড়বে।'' প্রতিদিন কিছুক্ষণ মেডিটেশন করুন প্রতিদিন কিছুক্ষণ মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন মেখলা সরকার। যারা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করে থাকেন, তাদের নিয়মিতভাবে সেগুলো করারও পরামর্শ দিয়েছেন। এরফলে শারীরিক ও মানসিক যত্ন হবে। ফলে মানসিকভাবে ভালো থাকা হবে, সেই সঙ্গে সময়টাও ভালো কাটবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ঢাকার বাসিন্দা ফারজানা ইয়াসমিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট র‍্যাবের মুখপাত্র সারোয়ার বিন কাসেম এই খবর নিশ্চিত করেন বিবিসিকে। সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। তবে মামলার বিস্তারিত বলতে রাজী হননি র‍্যাবের এই কর্মকর্তা। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ ক্যাসিনো-সহ নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা অভিযান চলছে এবং এই পুরো সময়টা ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন এই যুবলীগ নেতা। একদিনে বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই সম্রাটের অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। আরো খবর 'মানবিক কারণে' ভারতকে ফেনীর পানি দিল বাংলাদেশ পেঁয়াজ যেভাবে ভারতের রাজনীতিবিদদের কাঁদাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে তরল গ্যাস
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের টস কয়েন হাতে সাবের হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "ক্রিকেটারদের এভাবে ধর্মঘটে চলে যাওয়া উচিত হয়নি। তাদের আগে বোর্ডকে জানানো উচিত ছিলো। এবং বসে সমাধান করা উচিত ছিলো। আর বোর্ড হলো অভিভাবক। তাই অভিভাবকের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি"। মিস্টার চৌধুরী বলেন খেলোয়াড়রা সংবাদ সম্মেলন করেছে বলে বোর্ড ও প্রেসিডেন্টকে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা জবাব দিতে হবে? "এটা না করে খেলোয়াড়দের ডাকতো। ডেকে বসে সমাধান করা উচিত ছিলো। এখন পক্ষ বিপক্ষ হয়ে গেছে। যা ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারেনা"। সাবের হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার সময়েই বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলো। আবার ক্রিকেটের নানা ইস্যুতে বোর্ডের বর্তমান প্রশাসনের সাথেও নানা ইস্যুতে তিক্ততায় জড়িয়েছেন তিনি। নাজমুল হাসান পাপন বিবিসিকে তিনি বলছেন, "অবশ্যই আমার স্পষ্ট বক্তব্য আছে। বিশেষ করে ম্যাচ ফিক্সিং, দুর্নীতি এসব বিষয়ে সবসময়েই আমার অবস্থান আছে। কিন্তু এখন সমাধানে যেতে হবে। ফিকা (খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক সংগঠন) চলে আসছে এবং সামনে ভারত সফর আছে"। তিনি বলেন প্রথমেই উচিত ছিলো সংকটটা যেনো এ পর্যায়ে না আসে। "একটা বিষয় স্পষ্ট যে অনেক বড় দূরত্ব তৈরি হয়েছে শীর্ষ খেলোয়াড় ও বোর্ডের মধ্যে। এটা কমিয়ে আনতে হবে। এখন জরুরি যেটা সেটা হলো পক্ষ বিপক্ষ বা পাল্টাপাল্টি না, একটা সমাধানের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। এটা যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। দুপক্ষ অনড় থাকলে সমাধান সম্ভব হবেনা। তাই দুপক্ষকেই ছাড় দিয়ে বসতে হবে এবং একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে"। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে যাওয়ার পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন যে এ ঘোষণার পেছনে 'ষড়যন্ত্র' আছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও 'ষড়যন্ত্র' কারা করছে সে সম্পর্কে কোন তথ্য তিনি জানাননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবের চৌধুরী বলেন, "এটা গুরুতর অভিযোগ। কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে থাকে ক্রিকেট বোর্ডের ভেতর ও বাইরে থেকে সে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে বা তদন্ত হলে আমরা সমর্থন করবো"। তবে এখানে যেসব খেলোয়াড়রা জড়িত তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি। সাকিব, তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ তারা তাদের মাঠের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটা নতুন পরিচিতি তুলে ধরেছে। সাংবাদিকদের সামনে দাবিদাওয়া তুলে ধরছেন সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলছেন, বিসিবির উচিত খেলোয়াড়দের ডেকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিচ্ছেন। (ফাইল ফটো) এ ধরনের দলিলগুলো যে 'মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে' অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে তালিকায় এ ভাষণটিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রস্তাবগুলো দু বছর ধরে নানা পর্যালোচনার পর উপদেষ্টা কমিটি তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে বলে ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত এর মাধ্যমে বিশ্ব জুড়ে যেসব তথ্যভিত্তিক ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের যাতে তা থেকে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষ্যেই এ তালিকা প্রণয়ন করে ইউনেস্কো। ইউনেস্কো জানিয়েছে, তাদের মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির উপদেষ্টা কমিটি ৭ মার্চের ভাষণসহ মোট ৭৮টি দলিলকে 'মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে' যুক্ত করার সুপারিশ করেছে। ওদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ-এ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউনেস্কো মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা ৩০শে অক্টোবর এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, "এখন বিশ্ব আরও বেশি করে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে"। মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে এখন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সব মহাদেশ থেকে ৪২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস বা কালেকশন। ইউনেস্কোর যে উপদেষ্টা কমিটি এ মনোনয়ন দিয়েছে সেই কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল আর্কাইভসের মহাপরিচালক ড: আব্দুল্লাহ আলরাইসি। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ওই বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপদেষ্টা কমিটির আরও ১৪ জন সদস্য ছিলেন যারা সবাই বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ । তালিকায় ৭ই মার্চের ভাষণ শেখ মুজিবুর রহমান কি ছিলো ৭ই মার্চের ভাষণে? ৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। সেদিনের ১৮ মিনিটের ভাষণে শেখ মুজিব বলেছিলেন ''এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম"। ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, " ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো"। অনেকেই বিশ্বাস করেন এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান একটা গেরিলা মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জনসভায় ছিলেন এমন অনেকে বলেছেন, লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষ উত্তপ্ত শ্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নিরবতা। ভাষণ শেষে আবার স্বাধীনতার পক্ষে শ্লোগান মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাস্তাগুলো।
ইউনেস্কোর একটি উপদেষ্টা কমিটি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে দেয়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে টিঁকে গেলেন জামায়াত নেতারা ঢাকা থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল জানাচ্ছেন রোববার দুই দফা বৈঠকের শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর যে বাইশজন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে, এই পর্যায়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। হাই কোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা এবার তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । জামায়াতের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে রিট করা হয়েছিল তাতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা জামায়াতে ইসলামীর ২৫জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট বিষয়টিতে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তিনটি কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তের পেছনে যু্ক্তি তুলে ধরে হেলালুদ্দীন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন জামায়াতের যেহেতু দল হিসাবে নিবন্ধন নেই, তাই বিএনপির মনোনয়নে বিএনপির প্রতীক নিয়ে তারা যেহেতু নির্বাচন করছেন, তাই তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোন সুযোগ তাদের নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জামায়াতকে ধানের শীষ: কিভাবে দেখছে ঐক্যফ্রন্ট? প্রস্তুতি শুরু বিএনপির, ধানের শীষ আর কারা পাচ্ছে আপিলে প্রার্থিতা পুর্নবিবেচনা করা হয় যে প্রক্রিয়ায় 'জামায়াত সংখ্যাগরিষ্ঠ' পাবনা-১ আসনে ভোটের সমীকরণ নির্বাচন কমিশন জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের আবদন নাকচ করে দিয়েছে। এছাড়াও হাইকোর্টে রিট মামলার কারণে যেসব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল, সেগুলো নিয়েও নির্বাচন কমিশন আজ একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ঋণখেলাপীসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিভিন্ন আসনে বিভিন্ন দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থিতা যেগুলো হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল , সেই আসনগুলোতে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন স্থগিত করা অথবা সেখানে বিএনপির প্রতীক দিয়ে বিকল্প প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিল। নির্বাচন কমিশন আজ জানিয়ে দিয়েছে এসব আসনে নির্বাচন স্থগিত করার কোন সুযোগ নেই। এবং এই পর্যায়ে এসে বিকল্প কোন প্রার্থীকে নেওয়ারও কোন সুযোগ নেই। ফলে যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে, সেটা বাতিল হিসাবেই গণ্য হবে বলে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়ে বলেছিল জামায়াতের যে নেতারা বিএনপির হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছে, তারা দল হিসাবে নয়, তারা ব্যক্তি হিসাবে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিএনপি এই বিষয়টি বিবেচনায় নেবার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছিল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন সুনামি হয় কেন? 'পর্যবেক্ষণ এইভাবে কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি' খুলনা-২: তরুণ ভোটারদের চিন্তা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে
বাংলাদেশে বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন নির্বাচন কমিশন নাকচ করে দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এইচকিউ ট্রিভিয়ার ব্রিটিশ সংস্করণের উপস্থাপক শ্যারন কারপেন্টার। যুক্তরাষ্ট্র মাতানোর পর চলতি বছরের শুরুতে অ্যাপটি ব্রিটেনে আসে। বিনা পয়সার এই অ্যাপটি মূলত ১৫ মিনিটের লাইভ স্ট্রিম কুইজ শো প্রচার করে থাকে। এতে অংশ নিয়েই ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ২ ডলার থেকে শুরু করে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পান। ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে এখন কুইজ শো'টির দর্শক সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে লাখ থেকে কোটিতে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে? বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটারদের কার বেতন কেমন? ১৫ মিনিটের লাইভ কুইজ শোতে অংশ নিয়ে আয় করা যায় হাজার হাজার ডলার। সম্প্রতি তারা এযাতকালের সবচেয়ে বড় জ্যাকপট নিয়ে হাজির হয়। সেখানে ৮৩ জন বিজয়ীর মধ্যে ৩ লাখ ডলার ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে তারা। মোবাইলের মাধ্যমে কুইজের মোট ১২ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ভিত্তিতে দেয়া হয় এই মোটা অংকের অর্থ পুরস্কার। শুধু তাই না ওই জ্যাকপট শো এর অতিথি উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন দ্য রক-খ্যাত জনপ্রিয় রেসলার ও অভিনেতা ডোয়েন জনসন। আরো পড়ুন: 'ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে মহাভারতের যুগে' আপনার মোবাইল কি গোয়েন্দাগিরি করছে? জ্যাকপট শো এর অতিথি উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন ডোয়েন জনসন। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ভাইন এর সহ প্রতিষ্ঠাতা কলিন ক্রোল ও রুশ ইউসুপোভ এই অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেন। এ ব্যাপারে রুশ বলেন,"আমরা চাই সবাই যেন সেই গৎবাঁধা টেলিভিশন কুইজ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এ কারণে আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠান এমনভাবে সাজাই যেন ব্যবহারকারীরা আমাদের সঙ্গে বেশি করে সম্পৃক্ত হতে পারে। এবং তারা যেন প্রতিদিন আমাদের ভিজিট করতে আগ্রহ পায়।" তবে প্রশ্ন ওঠে, যে অ্যাপলিকেশনটির নাম দু'দিন আগেও কেউ জানতো না, সেটি কিভাবে রাতারাতি এতো বিপুল পরিমান অর্থ বিলিয়ে যাচ্ছে? এমনকি আলোচিত তারকাদেরও মঞ্চে আনছে কোন বাড়তি বিজ্ঞাপন প্রচার না করেই! এ ব্যাপারে অ্যাপটির ব্রিটিশ সংস্করণের উপস্থাপক শ্যারন কারপেন্টার জানান, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিউয়ার হিট থেকেই তাদের এই আয় হয়। "সরাসরি সম্প্রচারিত বিষয়ের প্রতি ভিউয়ারদের আগ্রহ সবসময় বেশি থাকে। কারণ এখানে রাখ-ঢাকের কোন সুযোগ নেই। যেকোন সময় যেকোন কিছু হতে পারে। সবাই জানতে চায় কুইজটার শেষ পর্যন্ত কি হয়। আর মোবাইলে ব্যবহার করায় মানুষ চলার পথেও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এভাবে এইচকিউ ট্রিভিয়া একদিন টেলিভিশন সম্প্রচারের জায়গা দখল করবে" বলেন শ্যারন কারপেন্টার। এইচকিউ ট্রিভিয়া অ্যাপের দুই প্রতিষ্ঠাতা কলিন ক্রোল (বামে) ও রুশ ইউসুপোভ (ডানে)। তবে এই অ্যাপটি ঘিরে যে সমালোচনা হয়নি তা নয়। অনেকেই কুইজ জিততে না পেরে হ্যাশট্যাগ ডিলিট এইচকিউ নামে টুইটারে প্রচারণা চালিয়েছে। আবার অনেকেই এই কুইজের প্রতি তাদের আসক্তির কথা জানিয়েছে। তাদেরই একজন স্কট মেঙ্কে। তিনি জানান গত বছরের অক্টোবরে অ্যাপটি ডাউনলোডের পর থেকে এমন কোন দিন নেই যে তিনি এতে ঢু মারেননি। এ পর্যন্ত তিনি ১২ হাজার ৩শ ডলার আয় করার দাবি করেছেন। তার কাছে দিন দিন যেন নেশায় পরিণত হয়েছে এইচকিউ ট্রিভিয়া। অর্থের পাশাপাশি বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কারও দিয়ে থাকে এইচকিউ ট্রিভিয়া। জানা যায়, ভিউয়ার সংখ্যার পাশাপাশি এইচকিউ মূলত পরিচালিত হয় ফাউন্ডার্স ফান্ডের মতো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থে এবং অ্যাপটির মাদার কোম্পানি ইন্টারমিডিয়া ল্যাবের লাভ্যাংশে।
এক পয়সা খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কিছু তরুণ। তাদের এই আয়ের উৎস 'এইচকিউ ট্রিভিয়া' নামে একটি জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপলিকেশন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বরিস জনসন বলছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। এর নানা রকম আনুষ্ঠানিকতা যখন শেষ হবে তখন বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। যুক্তরাজ্য কোন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে কিনা সেই সম্ভাবনার মুখোমুখি দাড়াতে হবে তাকে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট অর্থ কী? সোজা কথায় এর অর্থ দাঁড়াবে এত বড় পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটির বিভিন্ন খাত ও জনগণকে কিছুটা সামলে নেয়ার সময় দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কোন সাময়িক চুক্তি ছাড়াই বিদায় নিতে হবে। দেশটিকে রাতারাতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত যুক্তরাজ্য সেটি আর তারা পাবে না। ইউ সদস্য দেশগুলো থেকে এতদিন আমদানি হতো এমন পণ্যের উপর কর বসে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য তার দাম বেড়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব সংস্থার সাথে যুক্তরাজ্য সম্পর্কিত যেমন, ইউরোপিয়ান আদালত বা ইউরোপিয়ান পুলিশ, এরকম অনেকগুলো সংস্থা থেকে যুক্তরাজ্যকে বের হয়ে যেতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি না হলে রাতারাতি ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাৎসরিকে বাজেটে যুক্তরাজ্যকে কোন অর্থ দিতে হবে না। বর্তমানে তা বছরে নয়শত কোটি পাউন্ড। এটা কি ঠেকানো সম্ভব? সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দেশটির পার্লামেন্টে যে চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন সেটি হল যুক্তরাজ্য ২১ মাসের একটা সময় পাবে বিশাল এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে। তার এই প্রস্তাব সংসদে তিনবার প্রত্যাখ্যান করেছেন সংসদ সদস্যরা। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য তার জন্য লাভজনক চুক্তি নিয়ে দরকষাকষির সুযোগ পেতো। আরো পড়ুন: বরিস জনসন: ব্রিটেনের বিতর্কিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ইস্যু বোঝার সহজ সূত্র এখন যদি কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই হঠাৎ বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা এড়াতে হয় তাহলে দেশটির বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়ে সংসদে নতুন আইন পাশ করতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সময় নিতে সমর্থ হতে হবে অথবা ব্রেক্সিট বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টে টেরিজা মে'র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হবার পর ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ব্রেক্সিটের সমর্থকরা মনে করেন বাণিজ্যের উপর প্রভাব খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে যুক্তরাজ্য। বরিস জনসনের অবস্থান কী? ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই যেকোনো মূল্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ নিশ্চিত করতে চান বরিস জনসন। সেরকমটাই তিনি বলেছেন এক রেডিও সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। আরো পড়ুন: টেরিজা মে-র ব্রেক্সিট চুক্তি এভাবে হারলো কেন? ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর তিনি বলেছেন টেরিজা মে'র প্রস্তাব পুরো বাতিল করে নতুন চুক্তির খসড়া করবেন তিনি। ওদিকে ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের জন্য সময় দেয়ার ব্যাপারে তিনি সমর্থন দেবেন। তবে যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কিভাবে বের হয়ে যাবে সে ব্যাপারে চুক্তি নিয়ে নতুন কোন আলাপ হবে না। সব কিছুর জন্য একদমই কম সময় রয়েছে হাতে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অবশ্য এখন গ্রীষ্মের বিরতিতে রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। বাণিজ্যের জন্য যে অর্থ দাঁড়াবে চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন। যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে তারা মনে করেন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোন বাণিজ্য চুক্তি করার সময় থাকবে না। তাদের মধ্যে বাণিজ্য হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী। তার অর্থ হল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যুক্তরাজ্য কিছু বিক্রি করতে চাইলে তার উপর শুল্ক আরোপ হবে। একই বিষয় ঘটবে যখন ইউরোপের অন্যান্য দেশের পণ্য যুক্তরাজ্যে ঢুকবে। মুক্ত সীমান্তের সুবিধা অনুযায়ী খুব কড়াকড়ি ছাড়া পণ্যের আনাগোনা সম্ভব। কিন্তু চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে বন্দরে বা সীমান্তে এখন দু পক্ষই একে অপরের পণ্যে প্রবেশের আগে অনেক কড়াকড়ি হবে। তাতে কোন কিছু আমদানি রপ্তানি সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়বে। যদিও যুক্তরাজ্য বলছে শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা ৮৭ শতাংশ পণ্যের প্রবেশে তারা কোন শুল্ক আরোপ করবে না। ব্যক্তির জন্য এর যা অর্থ দাঁড়াবে সাধারণ মানুষের জীবনে এর নানাবিধ প্রভাব পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভিসা মুক্ত যাতায়াতের সুবিধাও হারাবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। এখন যেমন কাজের জন্য সহজে একে অপরের দেশে যেতে পারছে ইউরোপের দেশের মানুষজন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তার মানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে যুক্তরাজ্যের সেসব লোকজন নানা খাতে কাজ করতেন তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সে হোক আইনজীবী বা ব্যাংকার। পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপ হলে, বন্দরে সময় বেশি লাগলে বা বাণিজ্যে নানা সুবিধা বাতিল হলে বহু পণ্যের দাম বাড়বে। বিশেষ করে খাদ্য পণ্যে দাম বাড়লে তার প্রভাব অবশ্যই সাধারণ মানুষজনের গায়ে লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আরেকটি সুবিধা হল যেকোনো সদস্য দেশে গিয়ে স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যায় পরলে ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড নামে একটি বিশেষ বীমা ব্যবস্থার আওতায় যেকোনো সদস্য দেশের সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুবিধা পান নাগরিকেরা। সেটি আর থাকছে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গেলে মোবাইল ফোনে রোমিং চার্জ আরোপ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে বাস করছেন তাদের বিদেশী হিসেবে বিভিন্ন নতুন আইনের আওতায় পরতে হতে পারে। যেমন ধরুন ব্রিটেনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কার্যকর থাকবে না। অন্যান্য খবর: কাটা মাথা আতঙ্ক জেঁকে বসেছে প্রত্যন্ত গ্রামে প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে সরকার কি অস্বস্তিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী: কমছে নাকি বাড়ছে?
ব্রিটেনে আজ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা বরিস জনসন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন জাতীয় লিগের ম্যাচে মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলার অপরাধে শাহাদাত হোসেন রাজীবকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর পক্ষ থেকে শাহাদাতের শাস্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়। আগামী ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন শাহাদাত। পাঁচ বছরের এই শাস্তির শেষ দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা, অর্থাৎ আর অপরাধে না জড়ালে তিনি তিন বছর পরেই ক্রিকেটে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন। জাতীয় দলের সাবে এই পেসার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে তিনি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করবেন। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলেছিলেন শাহাদাত। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলা এই পেসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে রবিবার। অভিযোগে বলা হয়, বলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো নিয়ে কথা বলার সময় শাহাদাত ক্ষিপ্ত হন সতীর্থ অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রের ওপর। সেখানে উপস্থিত ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তৎক্ষণাৎ এই ক্রিকেটারকে আইন অনুযায়ীই ম্যাচের শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করেন। তিনি সেখানেই গণমাধ্যমকে বলেন, আচরণবিধির লেভেল ৪ ভেঙেছেন শাহাদাত - যাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে বর্ণনা করেন তিনি। টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন গতকাল বলেন, "এখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে যে লেভেল ৪ ভেঙেছে শাহাদাত। এই ধারা ভাঙলে এক বছর থেকে শুরু করে আজীবনও নিষিদ্ধ হতে পারে।" টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠকের পরে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয় যে শাহাদাত হোসেনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শাহাদাত। ২০১৫ সালের পর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি এই ক্রিকেটারকে। এর আগে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেটার শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে, যার জেরে তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে। বিষয়টি সে সময় আদালতেও গড়িয়েছিল। শাহাদাত হোসেনের বক্তব্য ওই ঘটনার দু্দিন পর আজ শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা হয় বিবিসি বাংলার। তিনি বলেন, "আমি তো আমার প্রতিপক্ষের গায়ে হাত তুলিনি, কাউকে পিটাইনি। আমি যা করেছি সেটা হলো ধাক্কা দিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "আরাফাত আমার জুনিয়র ক্রিকেটার, ওকে নিয়েই আমি বিসিবির কাছে আপিল করতে যাবো।" "আমি ধাক্কা দিয়েছি, একটু 'গ্যানজাম' হয়েছে নিজেদের মধ্যে। এটাকে এতো বড় করে কেন দেখছে, আমি জানি না।" তবে শাহাদাত হোসেন স্বীকার করেন যে তিনি দোষ করেছেন। "অনেক বছর ধরে খেলছি আমি। আমি মাঠে কখনোই খারাপ ব্যবহার করিনি, যেটা হয়েছে সেটা সময়ের ভুল।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোথা হতে আসে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা? শাহাদাতের ওপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিসিবির দিকেই তাকিয়ে আছে পলাতক ক্রিকেটার শাহাদতের পরিবার
সতীর্থ একজন খেলোয়াড়কে মাঠে মারধর করে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। একই সাথে তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আস্তে আস্তে আমাদের মিলিয়ে দেখবার বিষয় বদলাতে থাকে। আমরা টের পাই। আমরা হিসেব করি কে কতটা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাড়িতে - না, না বেত-টেত নয়, এই নির্যাতনের ধারা আলাদা। এটা যে নির্যাতন তা আমরা সবাই কেমন কেমন করে বুঝে গেছি, কেউ তবু নালিশ করতে পারছি না, এমনকি মায়ের কাছেও না। বিপন্ন শিশু আর নারী: আত্মীয়স্বজন নিরাপদ নয়, স্কুল নিরাপদ নয়, খেলার আঙিনা নিরাপদ নয়। বিপদ আসে পরিবার থেকেই আমাদের পৃথিবী জগতের অলক্ষ্যে বদলাতে থাকে। আর আমরা বুঝে যাই বিপদ আসে নিজের পরিবারের আশপাশ থেকেই। ছাদের ঘরে বা চিলেকোঠায় শুয়ে যে মামা বুকে রেডিও রেখে অনুপ ঘোষালের গান শুনছে তার কাছ থেকে। যে চাচা ভাইঝিদের কাপড় বদলাবার সময় ইচ্ছে করে সে'ঘরে ঢুকে যাচ্ছে তার কাছ থেকে। যে দূরসম্পর্কের তুতো ভাই/দাদা বিয়েবাড়ির ঢালাও বিছানায় অদূরে ঘুমিয়েছে তার কাছ থেকে। ম্রিয়মাণ আলো-জ্বলা ঘরে কোলে বসিয়ে যে দাদু অশেষ আদরে চন্দ্রপুলি খেতে দিয়েছে তার কাছ থেকে। যে দুলাভাই 'দেখি দেখি কেমন সূচের কাজ করেছিস জামার বুকে' বলে ওড়না সরিয়ে দেয় তার কাছ থেকে। যে আরবি হুজুর শুক্রবার সকালে আমপারা পড়াবার পরে দেখাচ্ছে মেয়েরা নামাজে কেমন করে হাত দিয়ে বুক বাঁধে তার কাছ থেকে। শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আমরা দেখতে পেলাম — আমাদের হাতের পাতা মেহেদিবাটা লাগিয়ে রক্তিম হচ্ছে সেটিই শুধু আমাদের একমাত্র মিল নয়, আমাদের লুকিয়ে রাখা নির্যাতনের গল্পগুলিও আমাদের মিল। মেয়ে-ইশকুলে আমরা কেউ প্রিয়সখীকে বিপন্ন বিস্ময়ে পুড়তে পুড়তে এসব গল্প করে ফেলছি, কেউ চুপচাপ মুখ চুন করে ক্লাসের অন্তিমে বসে আছি, কেউ টয়লেটে গিয়ে কাঁটা-কম্পাস দিয়ে খোঁচাচ্ছি হাত। আমরা জানতাম এরা মামা-চাচা-ফুপা-খালু-দুলাভাই-নানু-দাদু অনেককিছু, এরা এইসব মেয়ে শিশুদের (মানে আমাদের) একান্ত স্বজন। এরা আমাদের সাফল্যে উজ্জ্বল হাসে, এরা আমাদের বিয়ের সময় সমবেদনার আর শুভানুধ্যায়িতার আঢ্য হয়, এদের অভিভাবকত্বেই মেয়ে শিশুরা লালিত- পালিত- অভ্যর্থিত- আপ্যায়িত হয়। কিংবা জানতাম এরা শুধুই পুরুষ। জীবজগতে আর কোন পুংলিঙ্গধারী প্রাণী এত বুদ্ধি আর এত মর্মান্তিক হৃদয়হীনতা একত্রে একই করোটিতে পুষতে পারে কি না সন্দেহ। এদের অপরাধকে কেউ অপরাধ ডাকতো না, অপরাধীর দণ্ড হতো না কখনো, বাদীপক্ষ নিশ্চুপ থাকতো কিংবা আওয়াজ করলেও তাদের থামিয়ে দেয়া হতো। পরিবারের ভেতরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। 'নিরাপদ নয়' এভাবেই আমাদের বড় হবার অবশ্যপাঠ্য অধ্যায় রচিত হচ্ছিল। সবার আড়ালে। নিঃশব্দে। প্রত্যেকে একটি অদৃশ্য নোটবুকে অমোচনীয় কালিতে লিখে নিচ্ছি— ১. যে আমার জন্য বাজার ঘুরে মনোহারী সামগ্রী কিনে আনে তার কাছে আমার শরীর নিরাপদ নয়। ২. যে আমাকে ছোটবেলায় বাতাসে ছুঁড়ে দিয়ে লুফে নিত, তার কাছে আমার শরীর নিরাপদ নয়। এইভাবে আরো অনেক সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণে ঠাসা হয়ে যেত সেই অদৃশ্য নোটবুক। এভাবেই আমরা বড় হয়েছিলাম। বড় হয়েছি। আমাদের আশপাশে যা কিছু ধূসর এবং দূরায়ত ছিল, তা ঘনিয়ে ওঠা কালো রঙ হয়েছে। যা ভাল ছিল তা পেন্সিলের রেখার মতো ফিকে হয়ে গেছে, যা অশুভ ছিল তার মোচ্ছব চলছে। আচ্ছা, পার্বতীপুরের শিশু পূজাকে তার কথিত 'বড় আব্বা' ব্লেড দিয়ে কেটে কেটে যোনিপথ বড় করে ধর্ষণ করেছিল, সেই শিশুটিকে আমরা এই দেড় বছরে ভুলে গেছি, তাই না? গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডের যে দুই বছরের শিশুকে খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে এনে ধর্ষণ করে তিনতলা থেকে ছুঁড়ে হত্যা করেছে নাহিদ, তাকেও তো ভুলে যাব, তাই না? আরো যোগ হয়েছে ওয়ারীর শিশু সায়মার নাম, ঘন্টাখানেক নজরদারিতে ছিল না যে শিশু, তাকেও ভুলতে আমাদের তেমন সময় লাগবে না, তাই না? ভুলতে কত সময় লাগবে?: সায়মা হত্যার প্রতিবাদে, বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ পরিসংখ্যানের কথা এখানে বলবো না, আমার হাত কাঁপে, আমার প্রাণ কাঁপে। হাজার হাজার শিশু ধর্ষিত হচ্ছে, ধর্ষণের পর খুন হচ্ছে আমাদের দেশে, কাছের মানুষরাই নিয়ে যাচ্ছে তাদের ডেকে। আত্মীয়স্বজন নিরাপদ নয়, স্কুল নিরাপদ নয়, খেলার আঙিনা নিরাপদ নয়, মাদ্রাসায় ধর্ষণের খবর আসছে প্রায় প্রতিদিন। পিডোফিলদের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাবার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। শিশু যখন ফ্যালফ্যাল করে বসে থাকে, কেবল কাঁদে কিন্তু কিছু বলে না, কেবল দুঃস্বপ্ন দ্যাখে, কেবল কাউকে দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে যায়, কেবল ড্রয়িং খাতায় বীভৎস ছবি আঁকে তখন আমরা তাকে বিশ্বাস করে তার কথা শুনতে চাই কি? সে যে আমাদের পছন্দসই প্রিয়জনদের পছন্দ করতে, কাছে যেতে, চুমু খেতে, জড়িয়ে ধরতে বাধ্য নয়, তা মনে রাখি কি? যখন শিশু বিশ্বাস করে চেষ্টা করে তার নির্যাতনের ইতিহাস ব্যক্ত করে (বিশ্বাস করুন, শরীরের অঙ্গগুলির নাম নেয়াটাও তার জন্য দুরূহ, সে স্বভাব-লাজুক), আমরা তার নির্যাতকের শাস্তির ব্যবস্থা দূরে থাক, তাকে চিহ্নিতও করি কি? যুক্তরাজ্যে শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার ইতিহাসে একটি ভয়াবহ নাম 'মোরস মার্ডারার' ময়রা হিন্ডলি। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা বা পরীক্ষা করে আমরা শিশুদের কাছে একজন পরিণতবয়স্ক মানুষকে পাঠাই কি? শিশু-সংস্রব থাকে যেসব পেশায় সেই পেশায় শিশু নির্যাতক যেন কিছুতেই অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থাই তো আমরা করতে পারিনি। একটি রাষ্ট্রের প্রশাসনের এর চেয়ে বড় পরাজয় আর কিছুতেই হতে পারে না। যুক্তরাজ্যে শিশু ধর্ষণ যুক্তরাজ্যে শিশু ধর্ষণ এবং শিশুহত্যার ইতিহাসে একটি ভয়াবহ নাম 'মোরস মার্ডারার্স'। ষাটের দশকে প্রেমিক-প্রেমিকার এই জুটি ফুসলে শিশুদের সংগ্রহ করে এনে ধর্ষণ করে স্যাডলওয়ার্থ মোরের কোন এক প্রান্তরে পুঁতে দিয়ে আসতো, কখনো সেই কবরের ওপর গিয়ে বনভোজন করতো। মোরস মার্ডারার্সদের পুরুষটির নাম ইয়ান ব্রেডি, যে সমাজে যৌন-অবদমন ধর্ষণের কারণ নয় সেই খোলামেলা সমাজেরই বাসিন্দা। সে বলেছিল — শিশুকে ধর্ষণ করার সময় এবং প্রাণনাশের সময় শিশুর যুঝবার ক্ষমতার বিপরীতে পূর্ণবয়স্ক মানুষের যে অসম্ভব ক্ষমতা সে উপভোগ করতো, তাই তাকে বারবার এ কাজ করতে উৎসাহী করতো। এই অসম্ভব ক্ষমতার মুহূর্ত উপভোগ করার তৃষ্ণা কোথা থেকে আসতো? কোথা থেকে আসে? সমাজে যখন মানুষ আপন বিদ্যা-বুদ্ধি-পারদর্শিতার জোরে তেমন কিছু করতে পারে না, তখনকার নৈরাশ্য থেকে? যখন সমাজ হিতাহিতের আদর্শ তুলে ধরতে হয়, তখন? যখন রাষ্ট্র ভয়ানক সব অপরাধের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হয়, তখন? শিশু যদি অবর্ণনীয় ঘৃণা আর শাস্তির মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে, তখন? মনোবিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবেন। 'মোরস মার্ডারার্স'জুটির নারীটির নাম ময়রা হিন্ডলি। তার জীবনী লেখা হয়েছে, সেই জীবনীগ্রন্থের নাম 'আমি তোমাদেরই লোক', এই নামটার ভেতর রয়ে গেছে আমাদের ছোটবেলার সেই অদৃশ্য নোটবুকের প্রথম কথাটাই — শিশুধর্ষকরা আমাদের ভেতরেই আছে, ঘরে এবং আঙিনায়, অদূরে। মেয়েশিশু তো বটেই, ছেলেশিশুরাও তাদের হাতে কখনোই নিরাপদ ছিল না। শেষ করবো একটি কথা বলে। যে শিশুটি ধর্ষিত হচ্ছে, সে পথশিশুই হোক, কি ঘরের, কি আবাসিক মাদ্রাসার, সেই শিশুটি বেঁচে থাকলে একটি অলিখিত নোটবুক হাতেই চুপচাপ বড় হয়ে উঠবে তা ভাববেন না যেন। শৈশবে যে এমন নির্যাতনের শিকার হয়, অনেকক্ষেত্রেই সে বড় হয়ে নির্যাতক হয়, খুনি হয়, সিরিয়াল কিলার হয়। নির্যাতক হয়ে সে নিজের প্রতি নির্যাতনের জ্বালা ভুলতে চায়। অর্থাৎ আমরা আজ যা দেখছি চারপাশে, তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন না প্লিজ, তাহলে আরো অনেক ভয়াবহ দিন আসবে সামনে। আওয়াজ ওঠাই চলুন। বারবার। অক্লান্ত।
তখন আমরা মেয়ে -ইশকুলে পড়ি। শবে বরাতে কার হাতে মেহেদি কত লাল হলো সেইসব মিলিয়ে দেখি হাতে হাতে। কার মা কত সুন্দর, কার চুল কত লম্বা সেইসব পাল্লা দিই। কে কতক্ষণ দম রাখতে পারে বৌ-চি খেলার সময়, সেটাও মেলাই এর ওর সাথে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
যে টক-শোতে এই বিতর্কের সূত্রপাত। তিনি বিবিসিকে বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছেন বলেই সরকার দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তাই এই ধরনের মামলার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন বলেই জানান। তবে মামলার আদালত থেকে তিনি জামিন নিয়েছেন। "আমাদের দেশে মামলা দেওয়াটা এখন রাজনীতির অংশ হয়ে গিয়েছে। এখনকার রাজনীতি হলো মামলা দিয়ে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা," বলছেন তিনি, "এর পেছনেও সে ধরনের কিছু একটা আছে। দেখুন, একটু মামলা দায়ের করেছে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা, অন্যটি মহিলা নিজে।" সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা একটি মানহানির মামলা এবং জামালপুরে দায়ের করা ভিন্ন একটি মামলায় মি. হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত রোববার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মিজ ভাট্টি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬ ধারায় ঐ মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন আদালতে ২০,০০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। মাসুদা ভাট্টি, সাংবাদিক, লেখক। ঐ আদালত থেকেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১৬ই অক্টোবর ঢাকার একটি টিভি টক-শো'তে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ আলোচনায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উপস্থিত মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলে বর্ণনা করেন। সোশাল মিডিয়াতে আলোচনার সূত্র ধরে টক শো অতিথি মাসুদা ভাট্টি জিজ্ঞেস করেন মি. হোসেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা? জবাবে মি. হোসেন বলেন, "আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।" এই মন্তব্য করার পর পরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রায় ৫০ জন সম্পাদক এবং শীর্ষ পর্যায়ের সাংবাদিক এক যৌথ বিবৃতিতে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান। একজন ভদ্রমহিলা সম্পর্কে এধরনের অশালীন মন্তব্য করার জন্য তিনি অনুতপ্ত কি না বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি 'চরিত্রহীন' বলতে মাসুদা ভাট্টিকে ব্যক্তিগতভাবে ইঙ্গিত করেন নি। তিনি তার সাংবাদিকতার চরিত্রটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবু তিনি এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক তত্ত্ববাধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। আরো পড়তে পারেন: ডিজিটাল নজরদারির প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই 'মি টু' ক্যাম্পেনারদের নিজের বাবারাই যখন কাঠগড়ায় "একটা ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য দু:খ প্রকাশ করলাম। তারপর আমি প্রেসে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দু:খ প্রকাশ করলাম। আমি ভাবতেই পারিনা কোন সাংবাদিক আমাকে এভাবে অপমান করে প্রশ্ন করতে পারে। আমি কি বাংলাদেশে এতটাই অপরিচিত যে জামাতের এজেন্ট হয়ে আমাকে ঐক্য-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে?" বিবিসির সাথে আলাপকালে মাসুদা ভাট্টি বলেন, তিনি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। একজন সাংবাদিক হিসেবেই তিনি ব্যারিস্টার হোসেনকে প্রশ্নটা করেছিলেন। "এটা সত্যি যে তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বলেছি বিষয়টা এখন আমার একার ব্যাপার নয়। তবু তিনি যদি ভুল স্বীকার করেন, তাহলে মামলা উঠিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারি।"
বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তার বিরুদ্ধে করা দুটি মানহানির মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন ৮০ লাখ। সকল বয়স্ক মানুষের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম কিভাবে চালু করা যায়, সেনিয়ে একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ। এখন দেশে মূলত সরকারি ও অল্প কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মজীবীরাই পেনশন পান। কিন্তু শেষ জীবনে আর্থিক চাহিদা থাকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী সহ সকলের। সার্বজনীন পেনশন আসলে কী? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে দেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন ৮০ লাখ। তাদের মধ্যে যারা বেসরকারি চাকুরে ছিলেন তাদের মাত্র দশ শতাংশ গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ পাচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতেই কাজ করেন ৮৭ শতাংশ মানুষ। তারা কোন কিছুর আওতায়ই পড়েন না। বয়সকালে সবাই যেন আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা পান, সেজন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম খুবই জরুরী বলে মনে করছেন সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড: মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশে ৬৫ বছরের উপরে দরিদ্র বয়স্কদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেয় সরকার। সেটি ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, "যেমন একটা পেনশন স্কিম করা হল। যারা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন তারা সেখানে কিছু অর্থ দেবেন। যারা তাদের কাজে নিচ্ছে তারাও কিছু দিলেন। যারা নিজেরা সেলফ এমপ্লয়েড তারা এবং সরকারও এতে অর্থ যোগ করলো। এই যে তহবিল হবে সেটি বিভিন্ন যায়গায় বিনিয়োগ করা হবে। সেখানেও অর্থ যোগ হল। সবাই যখন অবসরের বয়সে যাবেন তখন তাদের সেই অর্থ দেয়া হবে।" এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চালু করা কতটা সম্ভব? সার্বজনীন পেনশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন এবং এর তহবিলের কার্যক্রমের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ করার কথা বলছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিবেশী অন্তত তিনটি দেশে নানা আদলে এমন সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু আছে। আরো পড়ুন: প্রবীণ জনগোষ্ঠি দ্রুত বাড়ছে, বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? বাংলাদেশে কেন প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেই? বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষের জন্যে কী করছে সরকার বাংলাদেশে ৬৫ বছরের উপরে দরিদ্র বয়স্কদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেয় সরকার। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবেই ৬৫ বছরের উপরে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ কোন ধরনের পেনশন ও বয়স্ক ভাতা কিছুই পান না। এমন ব্যক্তি থেকে শুরু করে যারা কোনদিন কাজ করেননি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পর্যন্ত সকল মানুষকে এমন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা কিভাবে সম্ভব? সবার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে দরকার বিপুল অর্থের। বয়স্কদের নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান রাবেয়া সুলতানা। তিনি বলছেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি। তিনি বলছেন, "এমন ফান্ড ট্যাক্স থেকে হয় সেটা আমরা জানি। কিন্তু এখানে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এখন যেসব সামাজিক সুরক্ষা আছে সেখানে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। এটা স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, তাদের আত্মীয়স্বজন, বড়লোকরা পায়। বহু চেয়ারম্যানের মা আছেন যারা বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন কিন্তু তারা সেটি পাওয়ার যোগ্য নন।" বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ বছর। ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে দুই কোটির বেশি মানুষের বয়স হবে ৬০ এর উপরে। সেটি নিয়ে এখনি ভাবার সময়। সরকারের দিক থেকেও অবশ্য সার্বজনীন পেনশনের একটি উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এটি শুরু করতে চায় সরকার। অন্যান্য খবর: জাহাঙ্গীরনগর: ভিসি কেন জামাত শিবির খুঁজছেন 'আমরা লুকিয়ে অন্যের যৌন জীবন দেখার চেষ্টা করছি' বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর নগরীগুলো কেন ভারতে
বাংলাদেশে ৬৫ বছরের উপরে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ কোন ধরনের পেনশন বা বয়স্ক ভাতা পান না।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সিঙ্গাপুরের সিল্ক এয়ারের ৬টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানকে এখন বাসিয়ে রাখতে হবে। রোববার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫৭ জন আরোহীর সবাই মারা যাওয়ার পর বোয়িংয়ের এই মডেলের বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ তাদের আকাশ সীমায় এই বিমানের উড়াল বা তাদের বিমান বন্দরে ওঠা-নামা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পর সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত এসেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির কাছ থেকে। ব্রিটেনের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, বিধ্বস্ত ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। ফলে, আপাতত ব্রিটেনের আকাশ সীমায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নিষিদ্ধ থাকবে। ব্রিটেনের বিমান চালকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স তাদের ৭৩৭ ম্যাক্স ফ্লিট না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনে বোয়িং কোম্পানির এই মডেলের বিমানের সার্ভিস চালায় দুটো এয়ারলাইন্স - টুই এবং নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স। সিএএ বলেছে, "বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানে ব্রিটেনে ফেরার কথা রয়েছে যে সব যাত্রীর, তাদের অন্য কোনো বিমানে করে ফিরতে হবে।" অবশ্য নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই তাদের ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানগুলো আপাতত না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে এই কোম্পানি। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে নিষিদ্ধ হয়েছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স অন্য কোন কোন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যস্ত বিমানবন্দর। ইউরোপ ও আমেরিকার সাথে এশিয়ার যোগাযোগের অন্যতম কেন্দ্র এই বিমানবন্দর। এখানে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সিঙ্গাপুরের সিল্ক এয়ার, চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্স, গারুদা ইন্দোনেশিয়া, শ্যাংডং এয়ারলাইন্স এবং থাই লায়ন এয়ারের অনেক ফ্লাইট সিঙ্গাপুরে যেতে পারবে না। অস্ট্রেলিয়ার কোনো এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের এই মডেল ব্যবহার করেনা। তবে দুটো বিদেশী এয়ারলাইন্সের - সিল্ক এয়ার এবং ফিজি এয়ারওয়েজ - এই বিমান অস্ট্রেলিয়ায় যায়। তারা এখন আর যেতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার ইস্টার জেট এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের এই মডেল ব্যবহার করে। বুধবার থেকে তাদের এটি না চালাতে বলা হয়েছে। মালয়েশিয়া জানিয়েছে, বোয়িংয়ের এই মডেলের বিমান তাদের আকাশ সীমায় আপাতত নিষিদ্ধ থাকবে। এসব দেশ বলছে, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে বোয়িংয়ের সফল ৭৩৭ বিমানের সর্বশেষ মডেলটি হচ্ছে ম্যাক্স (৭, ৮,৯ এবং ১০)। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বোয়িং বিভিন্ন ধরণের ৫,০১১ টি ম্যাক্স বিমানের অর্ডার পেয়েছে। এখন পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ৩৫০টি। রোববার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেল। বোয়িংয়ের কাছ থেকে এরকম ৩০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে ইথিওপিয়ার এই বিমান সংস্থা। গত বছর অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের যে বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেটিও ছিল ৭৩৭ ম্যাক্স। পাঁচ মাসের মধ্যে এই মডেলের আরো একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, বোয়িংয়ের এই মডেল নিরাপদ নয় - এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। কফিনে ফিরে এলেন ইউএস-বাংলার ২৩ যাত্রী ইন্দোনেশিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: খুঁজে পাওয়া গেছে ‘ব্ল্যাক বক্স’
সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পর এখন ব্রিটেনও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান ওঠা-নামা নিষিদ্ধ করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড়। শুধু তুরস্ক নয়, পশ্চিমা আরো কিছু দেশ, সৌদি আরবের সাথে যাদের বহুদিন ধরে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক, তাদের জন্যেও এই ঘটনা বড় ধরনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বলা হচ্ছে, নিষ্ঠুর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি আগামী কয়েক দশক ধরে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন, তার চরিত্র সম্পর্কে সত্যিকারের একটা চিত্র ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। মি. খাসোগজিকে খুন করার ঘটনায় খুব বেশি বিচলিত যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করেছিল পুরো ঘটনার রেশ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হয়ে যাক, কিন্তু মার্কিন রাজনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই এমন একটি ঘটনার পর সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে যাচাই করে দেখার দাবি জানিয়েছেন। বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন, জামাল খাসোগজিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে তার মৃতদেহ কোথায় ও কীভাবে গুম করা হয়েছে- যখন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে, তখন যে প্রশ্নটি সবার আগে সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে তা হলো কে তাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাওয়া যাবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে সৌদি সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের আদেশ এসে থাকতে পারে। এই সৌদি যুবরাজ এমবিএস নামে পরিচিত, দেশের বহু ক্ষমতা এখন যার হাতে। অনেক সৌদি বিশেষজ্ঞ মনে করেন উপরের মহলের আদেশ ছাড়া এরকম একটি হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব। তবে এমবিএস এর সাথে কতোটা সরাসরি জড়িত সেনিয়ে এখনও স্পষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যিনি এমবিএস নামে বেশি পরিচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- তুরস্কের কাছে এবিষয়ে আর কী ধরনের তথ্য আছে? আরো পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যার অডিও রেকর্ডিং শুনলেন সিআইএ প্রধান হারিয়ে যাওয়া সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচকরা খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব বিবিসির সাংবাদিক জনাথন মার্কাস বলছেন, তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সৌদি যুবরাজের সাথে অনেকটা ইঁদুর-বিড়ালের মতো খেলছেন। "এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে লোকজনকে তিনি যা বলছেন, মনে হচ্ছে তিনি তার চাইতেও বেশি জানেন। কিন্তু কতোটা বেশি জানেন ও কী জানেন সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।" "প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, আইনগত সব ধরনের ব্যবস্থাই তারা নিচ্ছেন, কিন্তু নাটকীয়তাও ধরে রেখেছেন তিনি। কারণ তিনি চান এমবিএসকে যতোটা সম্ভব চাপের মধ্যে রাখতে," লিখেছেন মি. মার্কাস। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় সুন্নি অধ্যুষিত ও নিয়ন্ত্রিত দুটো দেশ- সৌদি আরব ও তুরস্ক। তারা উভয়েই চাইছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে আরো বৃহত্তর নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একদিকে তুরস্কের ভেতরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে আবার একই সাথে ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্যেও এটি একটি সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। বিবিসির সাংবাদিক জনাথন মার্কাস বলছেন, শুধু তাই নয়, মি. এরদোয়ান যদি সৌদি আরবের ওপর এই চাপকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে পারেন এবং সময় মতো সেটা ব্যবহার করেন তাহলে তিনি হয়তো সৌদি আরব থেকে আরো বেশি বিনিয়োগ অথবা অর্থনৈতিক সাহায্য আদায় করে নিতে পারবেন যা তুরস্কের দুর্বল অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চাঙা করবে। জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান তুরস্কের জন্যে এটা এতোটা সহজ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ঠিক ততোটাই কঠিন। কারণ ওয়াশিংটনকে একদিকে যেমন নিজেদের স্বার্থ দেখতে হবে তেমনি অন্যদিকে তারা যেসব রাজনৈতিক মূল্যবোধের কথা বলে সেগুলোকেও রক্ষা করতে হবে। এটা শুধু সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। দুটো দেশের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক এই অস্ত্র বিক্রি তার একটি অংশ মাত্র। এই সম্পর্কের পেছনে আরো রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ। একসময় এই সম্পর্কের একেবারে কেন্দ্রে ছিল তেল। কিন্তু সেই নির্ভরতা এখন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এই দুটো দেশের সম্পর্কে এর আগেও টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবের ক্ষমতাবলয়ে এমবিএসের আবির্ভাবের পর এটি আরো জটিল রূপ নিয়েছে। ক্ষমতায় এসেই তিনি দেশের ভেতরে সংস্কারের যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলো তার গৃহীত নীতিমালার বহু খারাপ দিককেও ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। "কিন্তু খুব বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখতে পারেনি। কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টার মূল নায়ক হিসেবে দেখা হয় তাকেই। লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে কিছুদিনের জন্যে অপহরণ করে আটকে রাখার জন্যেও তাকে দায়ী করা হয়। মানবাধিকার নিয়ে কানাডার সঙ্গে সম্প্রতি যে তর্কাতর্কি হয়েছে এবং সর্বোপরি ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের পেছনেও দেখা হয় এই এমবিএসকেই," লিখেছেন সাংবাদিক জনাথন মার্কাস। এসব কারণে ওয়াশিংটনে অনেকেই মনে করেন এমবিএসের গৃহীত নীতিমালা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক তো নয়ই, বরং এর বিপরীত হিসেবেই কাজ করছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে কারণ ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নীতিমালার সব ডিম রেখেছেন এমবিএসের ঝুড়িতে। এসব নীতিমালার মধ্যে রয়েছে তিনটি লক্ষ্য। প্রথমত: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করা, দ্বিতীয়ত: ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি বিরোধের নিষ্পত্তিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা দিয়েছেন তার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃতীয়ত: যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিও, সেটা হচ্ছে সৌদি আরবকে সাথে নিয়ে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। আর এসব কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে মি. খাসোগজির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ফলে মি. ট্রাম্পের শাসনামলে সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে যাচাই করে দেখার হয়তো কোন সুযোগ নেই। সৌদি বাদশাহ সালমানের সাথে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তাহলে সৌদি আরব কি এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যার ফলে যুবরাজ এমবিএসের ক্ষমতায় লাগাম পরানো হবে? কিন্তু গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক ফোরামের এক সম্মেলনে এমবিএসকে দেখে মনে হয়েছে দেশের ভেতরে তার কোন ধরনের সমস্যা নেই। রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা সাইড-লাইনে থেকে সবকিছু দেখছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ভাষ্যকে বিশ্বাস করে নিতে বলছে। এর কারণ হয়তো এই যে রাশিয়াও এখন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেও চান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব ও ভূমিকা বাড়াতে। সৌদি আরবের পক্ষেও খুব দ্রুত অস্ত্রের জন্যে পশ্চিমা দেশ থেকে চীনের দিকে সরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমা অস্ত্র, প্রশিক্ষক, উপদেষ্টা দিয়েই তারা ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনা করছে। সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর মধ্যেও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। ফলে তারা যদি একসাথে হয়ে ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে সৌদি আরবের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কে পরিবর্তন আসার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই, অন্তত হোয়াইট হাউজে ক্ষমতার পালাবদল না ঘটা পর্যন্ত। আরো পড়তে পারেন: পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে? পরিবহন ধর্মঘটে রাস্তায় অটোরিকশাও চলতে পারছে না বিপিএল ২০১৯- এর নিলাম: কে কোন দলে
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্ক ও সৌদি আরবের সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আগামী এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ থেকে সব ধরণের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইটালি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থাকা আসা ব্যক্তিদের জন্য নতুন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবে দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত বিমান যোগাযোগ আগেই বন্ধ হয়ে আছে। তবে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ বিমান সার্ভিসের মাধ্যমে ইতালি গেছেন বেশ কিছু ব্যক্তি। বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম তাহেরা খন্দকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা এখনো ইতালির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানি না। তাই চার্টার্ড বিমানগুলোর শিডিউলে কোনো পরিবর্তন নেই। ইতালির সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো"। এর আগে গত সপ্তাহেই রোমের কাছে লাৎজিও অঞ্চলে ঢাকা থেকে আসা সব বাংলাদেশীদের করোনাভাইরাস টেস্ট করানোর জন্য স্পেশাল ডিক্রি জারি করা হয়েছিল। গত সোমবার ২২৫ জন যাত্রী ঢাকা থেকে ইতালি পৌঁছান এবং এদের মধ্যে পরীক্ষা করে ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এ তথ্য জানিয়ে লাৎজিও উর্ধতন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আজ বলেছেন, "একটি ভাইরাল বোমা আমরা নিষ্ক্রিয় করেছি"। তবে লাৎজিও'র প্রেসিডেন্ট নিকোলা জিনগারেত্তি তার ডিক্রিতে ৩২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও এটি নিশ্চিত নয় যে এই সংখ্যা ওই ২১ জনকে সহ গণনা করা হয়েছে কি-না। ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ৩২ জন পজিটিভ হওয়া ব্যক্তি বাইরে থেকে এসেছিলেন আর ১৫ জন ইতালিতে তাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। এতে বলা হয় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের দু'সপ্তাহ কোয়ারেন্টিন যথেষ্ট নয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে ১৪ হাজার ৭০৯ জন করোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তি এখন আছেন এবং এর মধ্যে লাৎজিওতে আছেন ৮৭০ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৫ হাজার বাংলাদেশী ইতালিতে বসবাস করছেন। দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। ইতালিতে থাকা বাংলাদেশী সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউসুফ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে গত কয়েকদিনে মোট ৬০ জন বাংলাদেশী করোনাভাইরাস পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন ইউরোপের এই দেশটিতে পৌঁছানোর পর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঢাকার বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা: বিবিসি সংবাদদাতাদের চোখে করোনাভাইরাস: দিশেহারা বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন পাঁচটি দেশ ফিরিয়ে দেবার পর অবশেষে বন্দর পেলো জাহাজটি
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইতালি।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ধারণা করা হচ্ছে মেসি বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন এর ফলে বেতন কাটা হচ্ছে তার ক্লাব থেকে। জানা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যতদিন না পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনার কোনো অনুশীলনে যোগ না দেবেন ততদিন তার বেতন কাটা হতে থাকবে। মেসির প্রতিদিনের বেতন ১ লাখ ১০ হাজার ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকার মতো। এত ক্ষতি স্বীকার করেও ক্লাবের কর্মসূচীতে মেসির যোগ না দেয়ার অর্থ দাঁড়ায় ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকছেন তিনি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি সেখানে তার বার্সেলোনা ছাড়াটা কতটা সহজ হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন। শুধু বার্সেলোনা নয়, লা লিগা কর্তৃপক্ষও একটি বিবৃতিতে বলেছে যে মেসি চাইলেই ফ্রি ট্রান্সফারে যেতে পারবেন না কোথাও। সেক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার মূল্য বা বাই আউট ক্লজ বহাল থাকবে। মেসির বাই আউট ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু মেসিকে পেতে আগ্রহী ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এখনো বার্সেলোনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে। বাজারে নানা ধরণের গুজবই আছে, তবে সেসব গুজবের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি শক্ত অবস্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটিই। ইতালিয়ান সাংবাদিক টানস্রেডি পালমেরি টুইট করেছেন, মেসিকে নিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই পরিকল্পনার অধীনে মোট পাঁচ বছরের চুক্তির তিন বছরের পরে মেসি ম্যানচেস্টার সিটির মালিকের আরেক ক্লাব নিউ ইয়র্ক সিটিতেও দুই বছর কাটাবেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তেমো এবং মেসির বাবা বুধবার দেখা করবেন। মেসির এখন বয়স ৩৩ এবং সামনে মেসি কয় বছর পুরোদমে ফুটবল খেলতে পারবেন, তাতে মেসির খেলোয়াড়ি ভূমিকার সাথে 'লিওনেল মেসি' ব্র্যান্ডও আমলে নেবে তাকে পেতে চাওয়া ক্লাবগুলো। এখনো বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের মধ্যে চলছে বাই আউট ক্লজ নিয়ে টানাপোড়েন, বাই আউট ক্লজ বলছে পাউন্ডের হিসেবে মেসিকে বার্সেলোনা থেকে ছাড়িয়ে নিতে প্রয়োজন হবে ৬২৪ মিলিয়ন। কিন্তু মেসি চাচ্ছেন ফ্রি ট্রান্সফার, বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তির একটি অংশে এই বার্তা ছিল যে ১০ই জুনের মধ্যে যদি মেসি ক্লাব ছাড়তে চান সেক্ষেত্রে এটি ফ্রি ট্রান্সফার করা হবে। ২০১৭ সালে এই চুক্তি করা হয়। কিন্তু আগের হিসেব অনুযায়ী ১০ই জুনের মধ্যে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, করোনাভাইরাস সেটি হতে দেয়নি। ওদিকে বার্সেলোনা নিজেদের দল সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে, অলিম্পিক লিওতে ডাক পেয়েছেন মেমফিস ডিপে। সুয়ারেজের সাথে সম্ভবত চুক্তি ছিন্ন করবে বার্সেলোনা।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া বার্সেলোনা ক্লাবের প্রাক মৌসুম কর্মসূচীতে যোগ দেননি ক্লাবের তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এমনকি করোনাভাইরাস টেস্ট করাতেও যাননি তিনি।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কারফিউর মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্ক শহরে কিছুক্ষণ আগে কার্যকর হয়েছে কারফিউ। তবে কারফিউ শুরু হলেও ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের সামনে থেকে অবস্থান ত্যাগ করেনি বিক্ষোভকারীরা। তবে সোমবারের তুলনায় হোয়াইট হাউজের সামনে কম সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছে। এছাড়া আগেরদিনের মত বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ এড়াতে হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিরক্ষা বাড়াতে একটি নতুন গেইট তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন রাজধানী ওয়াশিংটনে আরো বেশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। নিউ ইয়র্ক শহরেও দেখা গেছে একই চিত্র। কারফিউ কার্যকর হওয়ার পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরছেন না। ম্যানহাটান অঞ্চলে আগের রাতে লুটপাট ও ভাঙচুর হওয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারার অভিযোগ তুলে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও ও পুলিশের সমালোচনা করেছেন। গভর্নর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পারেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: হাজার হাজার সেনা পাঠানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি, ব্যাপক সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের ষষ্ঠ দিনেও ব্যাপক সহিংসতা ওয়াশিংটনে কারফিউ কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউজের কাছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেঁটে নিকটবর্তী একটি গির্জায় বাইবেল হাতে ছবি তুলতে যেতে পারেন। আজকেও ওয়াশিংটন ডিসি'র আরেকটি গির্জা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনাভাইরাস মহামারি আর কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ধরণের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতাদের অনেকে। ওয়াশিংটন আর নিউ ইয়র্ক বাদেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরেই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ। জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের সাথে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নিতে টেক্সাস রাজ্যের হিউস্টনে জড়ো হচ্ছে মানুষ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে সেখানে। ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে দুই হাজারের বেশি মানুষ সিটি হলের দিকে পদযাত্রা করছে। পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়াতেও সিটি হলের দিকে বিক্ষোভকারীদের পদযাত্রা কর্মসূচি চলছে। টেনেসি'র ন্যাশভিলে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে নিজেদের সুরক্ষা উপকরণ নামিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের। গত সপ্তাহে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। এসময় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের সময় লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
গত সপ্তাহে মিনিয়াপোলিসে এক পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টিরও বেশি শহরে জারি করা কারফিউর মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বসতি স্থাপনকারীরা অনেকে বিশ্বাস করেন যে এ ভূমি ঈশ্বর তাদের দিয়েছে তবে সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ হলো পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিকে অনুমোদন দেয়া। অন্য বেশিরভাগ দেশ মনে করে এসব বসতি অবৈধ। তাহলে এরা কারা? ফিলিস্তিন বিরোধিতা করলে এদের সংখ্যা বাড়ছে কেন? জাতিসংঘে বেশিরভাগ দেশ বলছে এসব বসতি হয়েছে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। এমনকি সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রও এর সাথে একমত। কিন্তু গত নভেম্বরে মিস্টার ট্রাম্প ঘোষণা দেন ইসরায়েলি বসতিকে তিনি আর আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন মনে করেননা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। কিন্তু অবৈধ হোক আর না হোক, বসতি আছে ও বাড়ছে। এখানে দেখা যাচ্ছে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় সেখানকার চিত্র কেমন ছিলো। ইসরায়েলের অংশ নীল ও পশ্চিম তীর হলুদ। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ মনে করে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই সেখানে বসতি বাড়াচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে হাজারো ইসরায়েলি বাস করে কেন ফিলিস্তিনের যে এলাকা ইসরায়েল রাষ্ট্রভূক্ত করতে চায় মানচিত্রে পশ্চিম তীর মানচিত্রে পশ্চিম তীর সত্তর, আশি ও নব্বিইয়ের দশকে বহু বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। গত বিশ বছরে তাদের জনসংখ্যাও দ্বিগুন হয়েছে। সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে ইসরায়েল। তাদের সুরক্ষা দেয় ইসরায়েলি সেনারা। (এটি একটি স্লাইড) Interactive Population growth in Givat Zeev settlement from 2004 to 2019 Population in 2019: 17,000 Population in 2004: 10,000 স্যাটেলাইট থেকে নেয়া চিত্রে দেখা যায় সময়ের সাথে সাথে কিভাবে বসতিগুলো বেড়েছে। ২০০৪ সালে গিভাট জাইভ বসতিতে দশ হাজারের মতো মানুষ ছিলো, আর এখন আছে সতের হাজার। এখন পশ্চিম দিকে আরও বাড়ছে। বাড়ছে নতুন বাড়ি, উপাসনালয় ও শপিং সেন্টার। বসতিগুলো নানা আকারের। কিছু আছে যেখানে কয়েকশ মানুষ বাস করে। সবচেয়ে বড়গুলোর একটিতে ৭৩ হাজার ৮০ জন বাস করে। গত পনের বছরে তাদের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নারীদের সন্তান সংখ্যা তুলনামূলক বেশি ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী চার বছর আর কোনো বসতি হওয়া উচিত নয়। তবে নতুন স্থাপনা না হলেও সেটেলারদের সংখ্যা বাড়বেই উচ্চ জন্ম হারের কারণে। গড়ে ইসরায়েলি নারীদের এখন সাতটির বেশি সন্তান। এমনিতেই ইসরায়েলে জন্ম হার ৩.১। আর দখলকৃত এলাকার বসতিগুলোতে সেটি আরও বেশি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে জন্ম হার কম। এর প্রভাব পড়বে মোট জনসংখ্যাতেও। সেখানে বসতি করা হচ্ছে সেটিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ মনে করে। তারা মনে করে বসতিগুলো সরাতে হবে তাদের রাষ্ট্রের জন্য। জাতিসংঘ রেজুলেশন লঙ্ঘন করেই এসব বসতি করেছে ইসরায়েল ইসরায়েলিরা পশ্চিম তীরে কেন বসতি করতে চায়? কিছু লোক এসব বসতিতে গেছেন অধিকতর সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায়। কারণ সেখানে ঘরবাড়ি বানানোর খরচ খুব কম। নানা সুবিধার কারণে সেখানকার জীবনমান উন্নত। আর কিছু মানুষ গেছেন কঠোর ধর্ম বিশ্বাসের কারণে। তারা মনে করেন ঈশ্বর এ জায়গা তাদের জন্য দিয়েছে। তবে এক তৃতীয়াংশই সেখানকার অতিমাত্রায় রক্ষনশীল। তাদের সংসার বড় ও কিছুটা দরিদ্র। আর কিছু আছেন যারা মনে করেন ইহুদিদের প্রাচীন ভূমি হওয়ার কারণে সেখানে তাদেরই বাস করার অধিকার রয়েছে। কিছু লোক এসব বসতিতে গেছে অধিকতর সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায়। দুই-জাতি সমাধান কারা চায়? এ ভূমিকে ভাগ করে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমর্থক ক্রমশ কমছে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনদের ৭১ ভাগ আর ইসরায়েলিদের ৬৮ ভাগ এর সমর্থক ছিলো। ১৮ সালে এ সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৫। অন্যদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনদের এক করার পক্ষে ৩৬ভাগ ফিলিস্তিনি ও ১৯ ভাগ ইসরায়েলি ইহুদি ও ৫৬ ভাগ ইসরায়েলি আরব। দু জাতি তত্ত্বের সমর্থন খারাপ খবর হলো দুই জাতি তত্ত্বের সমর্থন তরুণদের মধ্যেই বেশি কমছে। তথ্যউৎস: ইসরায়েলি সেন্টার ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস ও জেরুজালেম ইন্সটিটিউট ফর ইসরায়েল স্টাডিজ। জরিপ তথ্য ফিলিস্তিন সেন্টার ফর পলিসি এবং সার্ভে রিসার্চ অ্যান্ড দা ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইন্সটিিউট এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিমানের ভেতরে রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য নেতারা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদীসহ দশ জন নেতা শনিবার দিল্লি থেকে শ্রীনগর রওনা হয়েছিলেন। সকালেই টুইট করে কংগ্রেস দল জানিয়েছিল যে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে কাশ্মীরের কী পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখতেই বিরোধী নেতারা সেখানে যাচ্ছেন। তবে জম্মু-কাশ্মীরের প্রচার বিভাগও টুইট করে শুক্রবার রাতেই জানিয়েছিল যে ওই সিনিয়র নেতারা যেন কাশ্মীরে আসার পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকেন। ডিরেক্টরেট অফ ইনফরমেশন এন্ড পাবলিক রিলেশনস তাদের টুইটে লিখেছিল, "সীমানা-পারের সন্ত্রাসবাদ আর জঙ্গি হামলা আর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে সরকার। ধীরে ধীরে শান্তি ফেরানোরও প্রচেষ্টা চলছে। তারা এলে যেসব বিধিনিষেধ আরোপিত রয়েছে, সেগুলো ভঙ্গ করবেন তারা।" এই পরিস্থিতিতে যে বিরোধী নেতাদের বিমানবন্দরের বাইরে বেরুতে দেয়া হবে না, এটাই অবশ্য মনে করা হচ্ছিল। শুধু এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে দু'বার বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন বিরোধীদলীয় নেতারা। শনিবার সকালে যাত্রা শুরুর আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিকই থাকবে তাহলে বিরোধী নেতাদের সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন দুজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে?" "ওখানে তো আমার বাড়ি। নিজের বাড়িতেও যেতে পারব না আমি?" প্রতিনিধি দলের সদস্য সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই নেতা ডি রাজা সহ আরও অনেক নেতাকেই এর আগেও বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য শারদ যাদব বলেন, "আমরা ওখানে কোন আইনটা ভাঙ্গতে যাচ্ছি? জম্মু কাশ্মীরের মানুষও তো আমাদের দেশেরই মানুষ। সেখানে আমার দলের নেতা কর্মীরাও আছেন। আগেও তো তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গেছি আমি!" তিনশো সত্তর ধারা বিলোপের পরেই যখন রাহুল গান্ধী একের পর এক প্রশ্ন তুলছিলেন, টুইট করছিলেন, তখন ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক নিজেই টু্‌ইট করে বলেছিলেন, সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, রাহুল কাশ্মীর গিয়ে দেখে আসতে পারেন। প্রয়োজনে বিমানও পাঠিয়ে দেওয়া হবে তার শ্রীনগরে যাওয়ার জন্য। রাজ্যপালের ওই আমন্ত্রণ লুফে নেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, বিমানের প্রয়োজন নেই। শুধু বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কাশ্মীরে যেতে চান, সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চান। বিধিনিষেধ থাকার পরও সুযোগ পেলেই বিক্ষোভ করছেন কাশ্মীরিরা। আরো পড়তে পারেন: চীনের ওপর কতটা ভরসা করতে পারে বাংলাদেশ 'মহাকাশে প্রথম অপরাধ' অভিযোগ তদন্ত করছে নাসা আমাজনের দাবানল: কতটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে "কোনও শর্ত চাপাচ্ছি না। কবে যেতে পারি আমরা?" প্রশ্ন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরে অবশ্য রাজ্যপাল কিছুটা ঘুরিয়ে সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেন। জানানো হয় যেহেতু রাহুল গান্ধী কয়েকটি শর্ত রেখেছেন, তাই প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে এ ব্যাপারে। এদিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিরোধী নেতাদের আগমন উপলক্ষ করে হাজির হওয়া সংবাদকর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনী দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর সামরিক বিমানবন্দর, তাই সেখান থেকে সরাসরি রিপোর্টিং করা যাবে না বলে জানায় নিরাপত্তাবাহিনী। তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করছেন বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা।
ভারত-শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যাওয়া শীর্ষ বিরোধী নেতাদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাদের বিমানবন্দরের বাইরেও পা রাখতে দেওয়া হয় নি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
হোপ হিকস কিন্তু হোপ হিকস বিশেষভাবে পরিচিত কোন ব্যক্তি নন। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ৩১ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল আলোচনার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালকের পদে নিয়োগপ্রাপ্তির ১০ দিনের মাথায় অ্যান্থনি স্ক্যারামুচ্চি বরখাস্ত হলে হোপ হিকস সেই পদে নিয়োগ পান। রাজনীতিতে তার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু এর আগের পাঁচ বছর ধরে ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশ উত্থান পতন রয়েছে। এর আগে তাকে এক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার কিছুদিন পরে আবার অন্য দায়িত্বে ফিরে আসতে দেখা গেছে। তাহলে কীভাবে এরকম আলোচনার বাইরে থাকা একজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাকরিগুলোর একটিতে নিয়োগ পেলেন? আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প: দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে কী হবে? নির্বাচনে কী ঘটবে? ২০১৮ সালে পদত্যাগ করলেও কিছুদিন পরে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমে ফিরে আসে হোপ হিকস ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মাধ্যমে আসা হোপ হিকসের জনসংযোগ পেশা শুরুর করার সময় যেসব প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহক ছিল, তাদের একটি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন কোম্পানি। রালফ লরেন পোশাকের মডেলিংয়ের পাশাপাশি ইভাঙ্কা'স কাপড়-চোপড়ের মডেল হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কাজ করার কারণে একসময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজরে আসেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে নিজের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জনসংযোগ কাজের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তাকে বেছে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন, হোপ অসাধারণ একজন কর্মী। হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা ২০১৫ সালের প্রথম দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সফরে যাওয়ার পর থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহের মধ্যে ঢুকে যান। সেটা ছিল মি. ট্রাম্পের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট পরিচালনায় হোপ হিকস সহায়তা করেন। তিনি যা বলতে চাইতেন, তাই তিনি করতেন এবং ট্রাম্পের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেটা করতে বলতেন। যখন প্রচারণা জমে ওঠে, তখন তার সামনে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, তিনি কি পূর্ণকালীন রাজনৈতিক প্রেস সচিব হিসাবে কাজ করবেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাজে ফিরে যাবেন? তিনি দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার তাকে ব্যক্তিগতভাবে তার রাজনৈতিক দলে থাকার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে তিনি রাজি হন। হোপ হিকসকে 'হোপি' বা হোপস্টার' বলেও ডাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নজরের বাইরে থাকার চেষ্টা হোক হিকস নিজে থেকে কখনো খুব একটা বক্তব্য দেন না, যদিও সাংবাদিকরা যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন, তখন তিনি কাছাকাছিই থাকেন। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কাজ শুরু করেন, তখন তিনি নিজের টুইটার একাউন্ট মুছে ফেলেন। তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টও ব্যক্তিগত করে রাখা হয়। যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তিনি হোপ হিকসের জন্য নতুন একটি দায়িত্ব তৈরি করেন। সেটি হলো হোয়াইট হাউজের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক। তার কাজের ধরণটা হলো, প্রেসিডেন্টকে কোন কাজে বাধা দেয়া বা পরিবর্তনের চেষ্টা না করা, বরং শুধুমাত্র তিনি যা করতে চান, সেটাই করতে সহায়তা করা। পলিটিকোর একটি নিবন্ধ অনুযায়ী, ট্রাম্প পরিবারের একান্ত ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির একজন হোপ হিকস। তিনি এমনকি ইহুদি ধর্মের বিশেষ খাবার, শাবাত ডিনারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে অংশ নেন। ২০১৭ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের একজন ছিলেন হোপ হিকস। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? রোহিঙ্গা কূটনীতি নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের বাকযুদ্ধ গণধর্ষণের তদন্ত ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগ 'স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়া কোভিডের আরও স্পষ্ট ও নিশ্চিত লক্ষণ' ২০১৭ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাদের একজন ছিলেন হোপ হিকস। হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে......আবার ফিরে আসা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, মাঝেমাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে তিনি 'সাদা' মিথ্যা বলে থাকেন। পরদিন তিনি হোয়াইট হাউজ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরের কিছুদিন তিনি ফক্স নিউজে কাজ করেন। তবে এই বছরের শুরুর দিকে আবার প্রেসিডেন্টর টিমে ফিরে আসেন। বিবিসির হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা টারা ম্যাককেলভি যেমন বলছেন, তার ফিরে আসার কারণ খুবই সহজ, 'তিনি প্রেসিডেন্টের অনেক গোপন তথ্য জানার পরেও, কথা বলেন খুবই সামান্য'।
কাছের একজন সহকারী হোপ হিকস করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডিও কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ইসলামিক স্টেট'র উত্থানের জন্য অনেকে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করে। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামের প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন এবং জিহাদি গ্রুপগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক এ গবেষণা সংস্থাটি বলছে , উগ্র ইসলামী মতবাদ প্রচার করে এমন সংগঠনগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ সাহায্য পাচ্ছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী তুলেছে সংস্থাটি। তবে ব্রিটেনে অবস্থানরত সৌদি দূতাবাস এ ধরনের বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর চাপ বাড়ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে কাজ এখনো শেষ হয়নি এবং কবে নাগাদ শেষ হবে সেটিও কেউ বলতে পারছে না। গবেষণা সংস্থা হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি বলছে, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ ব্রিটেনের বিভিন্ন মসজিদ এবং ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে উগ্র মতবাদ ছড়িয়ে পড়ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের পর ইরানের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। ব্রিটেনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে এ ধরনের রিপোর্ট ভিত্তিহীন। উগ্র মতবাদ ছড়ানোর বিষয়ে সৌদি আরবের জড়িত থাকার কোন প্রমাণ নেই। সৌদি আরব বলছে তারা নিজেরাই বিভিন্ন সময় আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের হামলার শিকার হয়েছে। বিবিসি'র নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা বলছেন, উগ্র মতবাদ ছড়ানোর জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করে রিপোর্টটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর উগ্র মতবাদ ছড়ানোর জন্য কাতারকে দায়ী করেছে। আরো পড়তে পারেন: ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়? যে কারণে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিয়ে রুখতে নিজের হাত কাটলেন নবম শ্রেণীর বিথী মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প
ব্রিটেনে 'উগ্র ইসলামী মতবাদ' গড়ে ওঠার জন্য সৌদি আরবের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে বলে ব্রিটেনের একটি গবেষণা সংস্থা বলছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে আজ আরও অনেক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্ক ছাড়াও নিকটবর্তী গ্রিসের স্যামোসে আঘাত করে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ বলে উল্লেখ করলেও তুরস্ক বলছে, এটি ছিল ৬.৬ মাত্রার। এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন, আর ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৮০০-রও বেশি মানুষ। ইজমির শহরে ত্রাণকর্মীরা ভেঙে পড়f কংক্রিটের টুকরোর মধ্য থেকে মানুষজনকে টেনে বের করছে। ইজমিরের মেয়র বলছেন, শহরের ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। এপর্যন্ত ৭০ জনকে বের করা হয়েছে। এরই মধ্যে শহরে কয়েকশ'বার ভূমিকম্প-পরবর্তী মৃদু কম্পন হয়। যার ফলে উদ্ধার তৎপরতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইজমিরে অন্তত ২০টি ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ গ্রিসেও এই ভূমিকম্প আঘাত করে। সেখান স্যামোস দ্বীপের একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে দুটি কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে ঐ অঞ্চলের সাগর থেকে যে প্লাবন তৈরি হয় তাতে ঐ দ্বীপের বন্দরগুলিতে জল ঢুকে পড়ে। বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তুরস্ক এবং গ্রিসের দুই রাজধানীতেই তা অনুভব করা গেছে। আর সম্ভবত এই ঘটনা শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের মধ্যে আলোচনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। দুই দেশের সরকার প্রধান ভূমিকম্পের পর টেলিফোনে কথা বলে পরষ্পরের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তুরস্কে সৈকত নগরী ইজমিরে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের একদিন পর ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে আজ আরও অনেক মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সারদা চিটফান্ড মামলায় তদন্ত চালানোর সময়ে কলকাতার লাগোয়া বিধাননগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার, যিনি এখন কলকাতার পুলিশ প্রধান, সেই রাজীব কুমারের সরকারি বাসায় সিবিআই-এর কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাওয়ার পরেই এসব ঘটনা ঘটতে থাকে। সারদা চিটফান্ড মামলার তদন্তকারী হিসাবে তিনি যা যা তথ্য প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, সেগুলোর সবকিছু এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেননি মি. কুমার, এমনটাই অভিযোগ সিবিআই-এর। সে বিষয়েই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন সিবিআই কর্মকর্তারা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে গেলে তুলকালাম সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর ক্যান্সার যুদ্ধের গল্প বিশ্বের যে ভাষাগুলোকে সবচেয়ে দক্ষ ভাষা বলা হয় কিন্তু পুলিশ কর্মীরা সিবিআই অফিসারদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়, তারপরেই কমিশনারের বাসায় পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেখানে তিনি বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের প্রধান, প্রাক্তন প্রধান এবং শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। বৈঠক শেষে মমতা ব্যানার্জী বলেন, পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাওয়া ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থার ওপরেই আঘাত। তিনি নিজের রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেখানেই তিনি জানান যে, নিজের বাহিনীর কর্মকর্তার ওপরে "কেন্দ্রীয় সরকারের হেনস্থার প্রতিবাদে" তিনি শহরের প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলায় অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন। কিন্তু কে এই রাজীব কুমার - যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত রাস্তায় ধর্ণা দিতে বসে পড়লেন? কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে জন্ম রাজীব কুমারের। দেশের সেরা প্রকৌশল কলেজগুলির অন্যতম কানপুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি'র ছাত্র ছিলেন মি. কুমার। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে স্নাতক হয়ে তারপরে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস বা আইপিএস অফিসার হন ১৯৮৯ সালে। যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারে। পুলিশের কাজে মি. কুমার তার প্রকৌশল বিদ্যা ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর জন্য পরিচিত। একের পর এক তদন্তে তিনি ইলেকট্রনিক সার্ভেল্যান্স চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু তিনি পুলিশ মহলে 'রাফ এন্ড টাফ' অফিসার হিসেবে প্রথম নজরে আসেন তখন, যখন ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালাতেন। চুরির কয়লা ভর্তি ট্রাক ধাওয়া করে ধরার পরে সব চাকার হাওয়া খুলে দিতেন তিনি - যাতে চাকাগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীকালে মি. কুমার কলকাতা পুলিশের উপ-কমিশনার যেমন ছিলেন, তেমনই সিআইডি'র অপারেশনস প্রধানও ছিলেন। সেই সময়ে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে লুকিয়ে থাকা একাধিক বাংলাদেশী অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তিনি। বেশ কয়েক বছর আগে নদীয়া জেলায় একটি গির্জার প্রধান, ৮০ বছরেরও বেশী বয়সী এক সন্ন্যাসিনীকে গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেন ইলেক্ট্রনিক সার্ভেল্যান্স চালিয়েই। মমতা ব্যানার্জীর ধর্ণা। তার এই যন্ত্রের সাহায্যে নজরদারী নিয়ে মমতা ব্যানার্জী বিরোধী নেত্রী থাকার সময়েও অভিযোগ তুলতেন। মিজ ব্যানার্জী বলেছিলেন মি. রাজীব কুমারই নাকি তার ফোন ট্যাপ করান। তবে সরকার পরিবর্তনের পরে যখন মমতা ব্যানার্জী ক্ষমতায় আসেন, তখন রাজীব কুমার মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের অফিসারদের মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠেন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রধান থাকাকালীনই ২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড মামলা সামনে আসে। মি. রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। এরপরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার হন রাজীব কুমার। তার কাজকর্মের জন্য একাধিকবার সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন তাকে একবার ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল 'পক্ষপাত' করতে পারেন, এই আশঙ্কার কথা বলে। ভোট শেষ হতেই যদিও আবার তাকে পুরণো পদে ফিরিয়ে আনা হয়। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: রাহুল গান্ধীর মোনাজাত ধরার ছবি এখন কেন সোশ্যাল মিডিয়ায়? বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফেরতে টাকা দেবার উদ্যোগ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় রবিবার সন্ধ্যে থেকে ঘটে চলেছে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনা সেই পুরোনো ধাঁচের। কোনো বিকেন্দ্রীকরণ না হওয়ায় সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকছে এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিবি পুলিশকে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এসব অভিযোগ ওঠার পর স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এখন আবার আলোচনায় এসেছে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতকে একেবারে ঢেলে সাজানোর বা সংস্কারের কথা বিভিন্ন সময় বলা হলেও এই খাত অস্থায়ী পরিকল্পনার ভিত্তিতে বা ইমারজেন্সি ব্যবস্থাপনায় সব সময়ে চলছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর পরই গত মার্চ মাসে সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার থেকে সরবরাহ করা এন৯৫ মাস্ক এবং পিপিইসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রীর মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই এখন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজির বিরুদ্ধে। সংক্রমণ শুরুর আগের কয়েকমাসেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্বাভাবিক দামে পর্দা কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দুদক ১১টি মামলা করেছে। দুর্নীতির উৎস এবং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রায় ছয় মাস আগে দুদক স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের কিছু সুপারিশও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছিল। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সংস্কারের প্রশ্নে কতটা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-তা তারা এখনও জানতে পারেননি। "আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিছু রিফর্ম করার জন্য বলেছিলাম। দুর্নীতির উৎস কী-সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা সেগুলো মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির ফাঁকফোকর বন্ধ করার জন্য সংস্কারের কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল। কতটুকু কী করেছে, আমরা একটা পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করছি।" দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, "সংস্কারের সুপারিশে আমরা দুর্নীতির বিষয়টা এনেছি এবং দুর্নীতি কোথায় কোথায় হচ্ছে, সেগুলো আমরা দেখিয়েছি। কারণ আমরা মামলায় দেখেছি, শুধু বাক্স সাপ্লাই করা হয়েছে। মামলায় আমরা দেখেছি, ভেন্টিলেটার নেয়া হয়েছে। ভেন্টিলেটারের অ্যাক্সেসরিজ কেনা হয় নাই। এগুলোতো অনিয়ম এবং দুর্নীতি।" করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দুর্নীতির নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে কখনও সেভাবে সংস্কার হয়নি। যুগ যুগ ধরে এই খাত ঢাকা থেকে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়েছে। সে কারণে সিন্ডিকেটের দখলে দুর্নীতি হচ্ছে এবং চিকিৎসা সেবার বেহালদশা থাকছে বলে তারা মনে করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেছেন, স্বাস্থ্যখাত পরিচালনার পদ্ধতি পুরো ঢেলে সাজানোর জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের কথা বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় নি। "বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত বহুদিন ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে। আনেক সময় আমরা দেখছি, সেই সিন্ডিকেটের শক্তি সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিন্তু সরকারের হাত কোনো সিন্ডিকেট বা কোনো গ্রুপের থেকে কখনও ছোট হতে পারে না। আমরা মনে করি, সরকারের হাত সিন্ডিকেটের চেয়ে বড় হবে।" অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেছেন, "স্বাস্থ্যখাতে প্রচুর কেনাকাটা আছে। এই কেনাকাটা থেকে দুর্নীতিটা হচ্ছে। সেকারণে আমরা মনে করি, দক্ষ জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করা দরকার।" আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনিও মনে করেন, স্বাস্থ্যখাতের মূল সমস্যা হচ্ছে পুরোনো ধাঁচের ব্যবস্থাপনা। সেকারণে কোনো সংকট দেখা দিলে তাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থায়ী কোনো পরিকল্পনা হয় না। অধ্যাপক রুহুল হক বলেছেন, "স্বাস্থ্যবিভাগে এখন যে সংস্কার দরকার তা হলো আমূল পরিবর্তন। এটি করতে হলে আমাদের অনেকে মিলে বসে কী কী পরিবর্তন করা যায়-তা আলোচনা করে ব্যবস্থাপনাটি করতে হবে। তা না হলে স্বাস্থ্যবিভাগের দুর্নীতি বলেন, ডাক্তারদের অনুপস্থিতি বলেন বা হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থা সঠিক হচ্ছে না বলেন-এগুলো কখনই ঠিক হবে না।" তিনি আরও বলেছেন, "আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আপনারা জানেন, একেবারে সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট। একজন মন্ত্রী এবং একজন ডিজি সারাদেশের এত শত শত হাসপাতাল এক জায়গা থেকে কন্ট্রোল করেন। আমি মনে করি বড় হাসপাতালগুলো এবং মেডিকেল কলেজকে ডিসেন্ট্রলাইজ করা দরকার। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। সে রকম করতে হবে।" সরকারি হাসপাতালগুলোর বেহালদশা নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও স্থায়ী পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে না বলে বিশ্লেষকরা বলেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যখন কোনো সমস্যা হয়, তখন তাতে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। সংস্কার করা হচ্ছে না কেন-এখানে সরকারের আন্তরিকতা বা রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব আছে কিনা? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক রুহুল হক বলেছেন, "আপনি যে কথা বলেছেন, আমরা কিন্তু এখন তাৎক্ষণিক বা অ্যাডহক ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে সমস্যাটা হলো অর্থাৎ যেখানে চাকা লিক হয়ে গেলো, সেখানে একটু তালি দিচ্ছি। ইমারজেন্সি ব্যবস্থাপনায় সকল সময়ে চলছে। ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রিকরণ করার জন্য আমাদের একটি হেলথ কমিশন দরকার বলে আমি মনে করি।" কিন্তু অধ্যাপক হক নিজেইতো আওয়ামী লীগ সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কেন তখন এসব সংস্কার করেননি? এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য ছিল, "আমি ডাক্তারদের প্রমোশনের পদ্ধতি সহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করেছি। কিন্তু পুরো স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ করা বা আমূল পরিবর্তন আনা অনেক বড় বিষয়। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই মিলে এই পরিবর্তন আনতে হবে। এটা অনেক আলোচনার বিষয়। আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সফল হইনি।" আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক রুহুল হক দাবি করেছেন, সংস্কারের ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু তারপরও কেন সংস্কার করা যাচ্ছে না-সে প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজির জালিয়াতিসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে সবকিছু নিয়মনীতির মধ্যে চলছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো: শাহেদের ব্যাপারে তথ্য এবং নথিপত্র চেয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং এনবিআরসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ। জানুয়ারি, ২০২১ অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক তোয়ে তোয়ে থেইন বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই কোম্পানিগুলো নৈতিকতার সঙ্গে আপস করেই মিয়ানমারে ব্যবসা চালাচ্ছে এবং এদের মধ্যে ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠী বা ইনফোসিসের মতো টেক সংস্থাও রয়েছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল, তার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে, কিন্তু তার পরও সে দেশের ফৌজি সংস্থাগুলোকে বাণিজ্যিক বয়কটের মুখে পড়তে হচ্ছে না বলেই তাঁর পর্যবেক্ষণ। বস্তুত চীন বা ভারতের মতো দেশগুলোর প্রভূত পরিমাণে বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে বলেই রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রশ্নে তারা সেভাবে মিয়ানমারের সমালোচনা করে না - এই অভিযোগ গত কয়েক বছরে বারে বারেই উঠেছে। মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগে বিপুল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক গবেষক ও অধ্যাপক তোয়ে তোয়ে থেইনের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেও সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। পার্থ থেকে টেলিফোনে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এই প্রথমবারের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির সমালোচনা করা হয়েছে - যারা মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে অংশীদারিত্বে সে দেশে ব্যবসা চালাচ্ছে।" "মিয়ানমার আর্মির অধীন দুটি সংস্থা, মিয়ানমার ইকোনমিক কর্পোরেশন (এমইসি) ও মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিং লিমিটেডের (এমইএইচএল) ব্যবসার মুনাফা যে সরাসরি সেনা অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে, জাতিসংঘ তারও প্রমাণ পেয়েছে।" "সে কারণেই জাতিসংঘ এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে এই কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে।" আরও পড়তে পারেন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের পক্ষে বাস্তবে কতটা কী করা সম্ভব? সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল বৃদ্ধি, বাংলাদেশের উদ্বেগ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: দ্য হেগ থেকে আদালত বাংলাদেশে স্থানান্তরের অনুরোধ অধ্যাপক তোয়ে তোয়ে থেইন জাতিসংঘের যে মিশন এই রিপোর্ট দিয়েছে, তার সদস্য ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মানবাধিকার কমিশনার ক্রিস সিডোটি, ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মার্জুকি দারুসমান ও শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার আইনজীবী রাধিকা কুমারাস্বামী। অধ্যাপক থেইন মনে করছেন, এইচএসবিসি বা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মতো ব্যাঙ্কিং জায়ান্টরা কিংবা ভারতের আদানি পোর্টস এই মিশনের মতামতকে মিয়ানমারে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করার নীতি নিয়েছে। তার কথায়, "মিয়ানমারে যাদের সঙ্গে ব্যবসা করবেন, তাদের ব্যাপারে ভাল করে খোঁজ নেওয়া বা 'ডিউডিলিজেন্স' খুব জরুরি।" "আমি এটা মানি মিয়ানমারের ফৌজি কোম্পানিগুলোর বন্দর, রিয়েল এস্টেট, মাইনিং, অবকাঠামো ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে যেমন মনোপলি বা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ আছে কিংবা যে বিপুল জমির মালিকানা আছে তাতে তাদের বাদ দিয়ে ব্যবসাপাতি করা খুব মুশকিল - কিন্তু একেবারে অসম্ভব নয়।" সেনাপ্রধানের প্রতিকৃতি নিয়ে মিয়ানমারে জনতার সমাবেশ। আগস্ট, ২০১৯ "কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আছে, তাদের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসায় জড়িয়ে এই কোম্পানিগুলো নৈতিকতার সঙ্গে বিরাট আপস করছে বলেই মনে করি", বলছিলেন অধ্যাপক থেইন। তোয়ে তোয়ে থেইন অবশ্য এটাও স্পষ্ট করে দিতে চান, তিনি কখনওই মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক লগ্নির বিরোধী নন। বরং তিনি চান মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আরও বেশি করে আসুক - কিন্তু তারা যেন 'হাতে রক্তের দাগ লাগা' সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে না জড়ায়। দিল্লিতে অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো ও মিয়ানমার গবেষক জয়িতা ভট্টাচার্য কিন্তু মনে করেন, সেনাবাহিনী দেশের ক্ষমতার রাশ কাগজে-কলমে ছেড়ে দিলেও মিয়ানমারে তাদের বাদ দিয়ে ব্যবসা করা এখনও প্রায় অসম্ভব। জাতিসংঘ মিশনের সদস্য রাধিকা কুমারাস্বামী, জেনেভাতে তাদের রিপোর্ট পেশ করার সময় তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "সে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোতে 'তাতমাদও' বা সামরিক বাহিনীর একটা প্রগাঢ় প্রভাব রয়েছে, এবং তাদের উপেক্ষা করে ব্যবসা করা খুব কঠিন - এরকম একটা চিত্রই কিন্তু আমরা পাই।" "এখানে এথিকস বা নৈতিকতা এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ - দুটো যে যার মতো আলাদা পথে চলে বলেই আমার পর্যবেক্ষণ! কোম্পানিগুলো এথিকসকে একভাবে দেখে, আর বিজনেসকে দেখে অন্য চোখে।" মিস ভট্টাচার্য অবশ্য সেই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন আদানি বা ইনফোসিস শিল্পগোষ্ঠী মিয়ানমারে তেমন বড় কোনও প্লেয়ার নয় - চীন বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোম্পানিগুলোর লগ্নি বা ভূমিকা সেখানে অনেক বেশি। "যেভাবে চীন মিয়ানমারের বাজারে ঢুকেছে বা ইস্ট এশিয়ার আরও নানা দেশ, সেই তুলনায় ভারতীয় সংস্থাগুলোর উপস্থিতি কিন্তু একেবারেই কম", বলছিলেন তিনি। ইয়াঙ্গনে অত্যাধুনিক একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ যখন চলছিল। ফাইল ছবি "মিয়ানমারে ভারতের যতটা সম্ভাবনা ছিল তার অনেকটাই এখনও কাজে লাগানো যায়নি, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর ভূমিকাও বেশ সীমিত রয়ে গেছে।" "চীনের প্রাধান্যই সেখানে বেশি। আর একটা কথা হল, মিয়ানমার কিন্তু নিজেদের প্রধানত পূর্ব এশিয়ার দেশ হিসেবেই দেখে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় পূর্ব এশিয়ার সঙ্গেই তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশি নিবিড়", বলছিলেন জয়িতা ভট্টাচার্য। মিয়ানমারে নৈতিকতার সঙ্গে আপসের প্রশ্নে আদানি গোষ্ঠীর জবাব কী, সে প্রসঙ্গে তাদের কাছে ইমেইল পাঠানো হলেও এখনও জবাব মেলেনি। তবে গত মাসেই আদানি পোর্টস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়াঙ্গনে তারা যে অ্যাহলোন বন্দর টার্মিনাল বানাচ্ছে সেটা স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাবে, অন্তত এগারোশো স্থানীয় বাসিন্দা সেখানে চাকরি পাবেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন একাধিক সংস্থা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়ার পরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় কোম্পানি তাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাচ্চারা তাদের মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট নিয়ে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে ব্রিটেনের একজন চিকিৎসক রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, কিশোরকিশোরীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মধ্যে যে একটা সম্পর্ক আছে তার অনেক প্রমাণ তিনি পেয়েছেন। সম্প্রতি একদল মার্কিন শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে তারা 'মেসেঞ্জার কিডস' নামে বাচ্চাদের মেসেজিং অ্যাপটি বন্ধ করে দেবার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ১৩ বছরের কম বয়েসীদেরকে এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করারটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। তারা বলেন, তারা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন যে সামাজিক মাধ্যমের কারণে কিশোরকিশোরীদের মানসিকতায় অস্বাভাবিক সব পরিবর্তন হচ্ছে, ১০ বছরের মেয়েও তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। সোশ্যাল মিডিয়া কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা তৈরি করছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা ডাক্তার রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, তিনি একবার ১৬ বছরের একটি কিশোরকে রোগী হিসেবে পেয়েছিলেন - যে তার নিজের হাত-পা কাটার পর তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। "আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তাকে বিষণ্ণতা-রোধী ওষুধ দেবো। কিন্তু আমি তার সাথে কথা বলার পর মনে হলো, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করায় তার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।" আরো পড়ুন: ইন্টারনেটের গতি কমানোর উদ্যোগ কতটা সফল হবে? ফ্যাশন ম্যাগাজিনে ‘মরদেহে’র মত মডেলদের দিন কি শেষ? ২০১৭ সালে রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ একটি জরিপ চালায় ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স্ক দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর। এতে দেখা যায় স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম তাদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনমন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। ১০ জনের মধ্যে ৭ জন বলেছে ইনস্টাগ্রামের কারণে তাদের নিজেদের দেহ নিয়ে মন খারাপ হয়েছে। ১৪ থেকে ১৪ বছর বয়সের তরুণতরুণীদের অর্ধেকই বলেছে ফেসবুকের কারণে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও অশান্তি বেড়ে গেছে। দু-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছে, ফেসবুকের কারণে সাইবার বুলিইং বা অনলাইনে অপমান-হয়রানি করার প্রবণতা আরো গুরুতর আকার নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা কমিয়ে এনে সুফল পাওয়া গেছে, বলছেন একজন চিকিৎসক ড. চ্যাটার্জী তার কাছে আসা ছেলেটিকে একটা সহজ সমাধান দিয়েছিলেন - তাকে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা কমিয়ে আনতে হবে, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক ঘন্টার বেশি নয়। তবে কয়েক সপ্তাহ পর এ সময় বাড়ানো যেতে পারে। "ছয় মাস পর তার অবস্থা লক্ষণীয়ভাবে ভালো হতে শুরু করলো। আমি তার মার কাছ থেকে চিঠি পেলাম যে সে স্কুলে গিয়ে অনেক আনন্দ পাচ্ছে, এবং স্থানীয় লোকজনের সাথেও মিশছে।" তিনি বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটা একটা বড় সমস্যা এবং এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন করা দরকার।" সাইকিয়াট্রিস্ট লুই থিওডোসিও বলছেন, "দু-তিন বছর আগেও তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্টের মাঝখানে কোন বাচ্চা তাদের ফোন ব্যবহার করছে, বা টেক্সট করছে - এমন ঘটনা ছিল খুবই অস্বাভাবিক। কিন্তু এখন এটা খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে।" অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কিভাবে বাচ্চাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায় "বাচ্চারা তাদের ফোন নিয়ে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে টিনএজাররা বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা বা অন্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে - এমন কেসের সংখ্যা বেড়ে গেছে। " তিনি বলেন, এসব বাচ্চারা এক কল্পনার জগতে বাস করছে, এতে তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের জন্য পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে গেছে। তিনি এমন অভিভাবকের কথাও শুনেছেন যারা ওয়াইফাই রুটার নিজেদের সাথে নিয়ে ঘুমান -যাতে বাচ্চারা মাঝরাতে উঠে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে। বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের নানা উপায়ে বাচ্চাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে ও তা সীমিত করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফেসবুক , টুইটার, এ্যাপল এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এসব অভিযোগ নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে তারা এ ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
শিশু-কিশোরদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কুফল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু চিকিৎসক ও শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সৌদি গোয়েন্দা দলের ওপর সিসিটিভি ফুটেজ। এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, ইস্তাম্বুলের বিমান বন্দর দিয়ে কথিত সৌদি গোয়েন্দারা ঢুকছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে। সৌদি রাজতন্ত্রের একজন কড়া সমালোচক মি. খাসোগি গত ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তুর্কী কর্তৃপক্ষ বলছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। ভিডিওতে কী রয়েছে? তুর্কী টিভি চ্যানেল আরটিআর-এ যে ভিডিওটি প্রচার করা হয় তা জোগাড় করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে। এতে দেখানো হয়েছে, কতগুলো গাড়ি সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ঢুকছে। এর মধ্যে কাল রঙের একটি ভ্যান সম্পর্কে তুর্কী কর্তৃপক্ষ জানতে খুবই আগ্রহী। এই সৌদি বিমানের সাথে জামাল খাসোগির গুমের ঘটনার সংযোগ রয়েছে বলে তুর্কী তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন। আরো পড়তে পারেন: জন্মদিনে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর বাংলাদেশের বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি মামলার মোড় ঘুরিয়েছিল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একদল সৌদি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে দিয়ে প্রবেশ করছে, হোটেলে চেক-ইন করছে এবং পরে সে দেশ ত্যাগ করছে। তুর্কী তদন্তকারীরা দুটি সৌদি গাল্ফস্ট্রিম জেট বিমান সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে। এই বিমান দুটি ২রা অক্টোবর অবতরণ করেছিল। মি. খাসোগি সেই দিন থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মি. খাসোগির কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কিন্তু তার বেরিয়ে আসার কোন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তুর্কী সংবাদপত্র সাবাহ্ খবর দিয়েছে যে সৌদি গোয়েন্দা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ঐ সাংবাদিকের গুমের সাথে জড়িত বলে তারা জানতে পেরেছে। পুলিশ এখন প্রায় ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখছে। তুরস্ক বলছে, তারা সৌদি কনসুলেটে তল্লাশি চালাবে। অন্যদিকে, সৌদি আরব বলছে যে কোন তদন্তের সাথে তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু তুর্কী সরকার দাবি করছে, মি. খাসোগি যে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছে সৌদি সরকারকেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। জামাল খাসোগির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমে ক'দিন ধরেই তুমুল হৈচৈ চলছিল - কিন্তু এখন তা পুরাদস্তুর হত্যা রহস্যের চেহারা নিয়েছে । জামাল খাসোগির সৌদি কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য। ৫৯-বছর বয়সী মি. খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক, এবং বেশ কিছুকাল ধরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ জনের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছিল। কেন সৌদি কনস্যুলেটে এসেছিলেন জামাল খাসোগি? মি. খাসোগির কনস্যুলেটে আসার উদ্দেশ্য ছিল, তার পূর্বতন স্ত্রীকে যে তিনি ডিভোর্স (তালাক) দিয়েছেন - এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়া, যাতে তিনি তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে পারেন। মি. খাসোগি তার মোবাইল ফোনটি মিস চেঙ্গিসের হাতে দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। মিজ চেঙ্গিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মি. খাসোগি এ সময় বিমর্ষ এবং মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন - কারণ তাকে ওই ভবনে ঢুকতে হচ্ছে। হাতিস আরো বলেন, জামাল খাসোগি তাকে বলেছিলেন যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে তিনি যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। হাতিস চেঙ্গিস, জামাল খাসোগির হবু বধু। তিনি জানান, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি জামাল খাসোগিকে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন নি। বুধবার সকালবেলা কনস্যুলেট খোলার সময় তিনি আবার সেখানে উপস্থিত হন। তখন পর্যন্ত মি. খাসোগির কোন খোঁজ মেলেনি। তার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ।
তুরস্কের গণমাধ্যমে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রচারিত হয়েছে যাতে সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কেরালার ত্রিবান্দ্রাম বিমানবন্দরে নেমে ডিক্লারেশন ফর্মে সই করছেন বিদেশী পর্যটকরা। তাদের বলতে হচ্ছে তারা সম্প্রতি চীনে যাননি । ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ হঠাৎই ছুটতে ছুটতে বিমানের দরজায় এসে হাজির হলেন কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসনের একদল কর্মকর্তা, সঙ্গে বিমানবন্দর পুলিশের লোকজন। তাদের কাছে খবর আছে, বিমানের যাত্রীদের মধ্যে একদল ব্রিটিশ পর্যটক আছেন - যার মধ্যে অন্তত একজন নিশ্চিতভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে প্রমাণ মিলেছে। এয়ারক্র্যাফটের ভেতর খুব সহজেই চিহ্নিত করা গেল ব্রিটিশ পর্যটকদের ১৯জনের ওই দলটিকে - আর পুলিশি পাহারায় তাদের 'অফলোড' করাও হল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। যেহেতু বিমানের বাকিরাও তাদের সংস্পর্শে এসেছেন বেশ খানিকটা সময়, বিমানের ক্রু এবং বাকি ২৭০জন যাত্রীকেও নামিয়ে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হল এয়ারপোর্টেই। তবে অন্য যাত্রীদের আর আটকে রাখা হয়নি, ব্রিটিশ ওই পর্যটক দলটিকে ভারতে রেখেই এমিরেটসের বিমানটি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের সোয়া তিন ঘন্টা পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে করোনা ভাইরাস-আক্রান্ত একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে এমিরেটসের বিমানে উঠে বসতে পারলেন? এই ব্রিটিশ পর্যটকদের দলটি ভারতে এসেছিলেন দিনকয়েক আগেই। কেরালার শৈলশহর মুন্নারের কাছে একটি হিল রিসর্টে ছুটি কাটাচ্ছিল গোটা দলটি। ওই বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে একজনের মধ্যে হঠাৎ ভাইরাল ও ফ্লু-সদৃশ উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ায় তার নমুনা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিধিমাফিক তাকে রাখা হয় কোয়ারেন্টিনেও। এমন কী, কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরাও তাকে নজরদারিতে রাখতে শুরু করেন। নিকটবর্তী দেবীকুলামের সাব-কালেক্টর প্রেম কৃষ্ণান বিবিসি বাংলাকে জানান, "স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা শনিবার রাত সাড়ে দশটা পর্যন্তও ওই রিসর্টেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তখনও ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট আসেনি।" "এদিন সকালে পরীক্ষার রেজাল্ট আসতেই দেখা যায় ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কর্মীরা সাতসকালেই ওই রিসর্টে ছুটে যান - কিন্তু গিয়ে দেখেন ওই ব্যক্তি সেখানে নেই!" আসলে তার দলের বাকি সদস্যদের ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার টিকিট ছিল এদিন সকালেই। কেরালার কোচি বিমানবন্দর (ফাইল ফটো) যেহেতু তাদের চলাফেরায় কোনও বিধিনিষেধ ছিল না, তারা ভোররাতে যথাসময়েই রিসর্ট থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। কিন্তু কোয়ারেন্টিনে থাকা একমাত্র পর্যটকও সেই দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেক-ইন করে, বোর্ডিং পাস নিয়ে ও ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করে উঠে বসেছিলেন দুবাইগামী বিমানেও। 'পাখি খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছে', এটা বুঝতে পেরেই স্বাস্থ্যকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন কোচি বিমানবন্দরে। তারপর প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে একেবারে শেষ মুহুর্তে আটকানো হয় এমিরেটসের বিমানটিকে, সেখান থেকে নামিয়ে আনা হয় ব্রিটিশ পর্যটকদের পুরো দলটিকেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মাত্র একজন ব্রিটিশ নাগরিকের ভারতে থেকে যেতে হত - কিন্তু এখন তিনি প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ায় ১৯জনের পুরো দলটিকেই ভারতে আটকা পড়তে হল!
এমিরেটসের ফ্লাইট নাম্বার ইকে-৫৩১ রবিবার সকালে কোচি থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে ওড়ার জন্য তখন প্রস্তুত। প্রায় শতিনেক যাত্রীর সবাই বিমানে উঠে বসেছেন, এয়ারক্র্যাফটের দরজা বন্ধ করা হবে যে কোনও মুহুর্তে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আসামে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় চলমান গণ-বিক্ষোভ দমন করার জন্য এর মধ্যে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং স্থগিত করা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েক দফা মুখোমুখি সংঘর্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন পুলিশ। বিলটি পাস হওয়ার পরে আসামেই প্রথম বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিলটিতে মুসলিমদের দেশ থেকে বহিষ্কারের যে ধরন রয়েছে বা এতে ধর্মনিরপেক্ষতা হুমকির মুখে পড়ার যে উদ্বেগ রয়েছে তার সঙ্গে এই বিক্ষোভের কোন সম্পর্ক নেই। বিক্ষোভকারীদের শঙ্কা, এই নতুন আইনের ফলে বহিরাগতদের চাপে স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে। আসামের বৃহত্তম শহর গুয়াহাটিতে একটি কারফিউ জারি করা হয়েছে আসামে এই উত্তেজনার অন্যতম কারণ হল এই রাজ্যটি ভারতের অন্যতম জটিল ও বহু-জাতির রাজ্য। অহমীয়া এবং বাংলাভাষী হিন্দুরা এখানে উপজাতিদের মধ্যে বসবাস করেন। রাজ্যটির এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী মুসলমান, সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় তিন কোটি বিশ লাখ। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পরে আসামেই দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে। এটি ভারতের অন্যতম অস্থিতিশীল এবং গোলযোগপূর্ণ রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্যকে আসাম থেকে বের করে আনা হয়েছে এবং সেখানে বসবাসকারী তিনটি আদিবাসী গোষ্ঠী আলাদা হয়ে তাদের নিজস্ব রাজ্য গঠন করতে চায়। ভাষাগত পরিচয় এবং নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। অহমীয়া ও বাংলাভাষী জনগণ সেখানকার কর্মক্ষেত্র ও সম্পদে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা করে আসছে। বাংলাভাষীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সেখানকার শত শত বছর ধরে বসবাসকারী আদিবাসীদের বৈধ দাবী ও আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করছে। কয়েক দশক ধরে সেখানে একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসন। আসাম, বাংলাদেশের সাথে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত ভাগাভাগি করে, এবং হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই এই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে থাকে। কেউ কেউ ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে এবং অন্যরা চাকরির সন্ধানে ওই রাজ্যে পাড়ি জমায়। আসামে এখন অবৈধ বিদেশিদের আনুমানিক সংখ্যা চল্লিশ লাখ থেকে এক কোটি। আরও পড়তে পারেন: গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িবহরে হামলা নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয় চান্দামারীতে এনআরসি-র খসড়া তালিকায় এক নারী তার নাম খুঁজে দেখছেন। ১৯৮০-এর দশকে ছয় বছর চলা বিদেশি-বিরোধী বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যার কারণে ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেখানে দুই পক্ষ একটি বিষয়ে একমত হয় যে, ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের পরে যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া কেউ আসামে প্রবেশ করলে তাকে বিদেশি ঘোষণা করে নির্বাসিত করা হবে। যাইহোক, পরবর্তী তিন দশক ধরে যখন কোনও কিছুই খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, তখন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ নেয় এবং "সত্যিকারের" নাগরিকদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১৯৫১ সালে রাজ্যটির জন্য প্রস্তুত করা নাগরিক-পঞ্জি আপডেট করার নির্দেশ দেয়। অগাস্টে আপডেট হওয়া জাতীয় নাগরিক-পঞ্জির (এনআরসি) তালিকা থেকে ২০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে যায়। এক কথায়, কার্যকরভাবে তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়া হয়। এই নাগরিক-পঞ্জি প্রকাশের শুরু থেকেই ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল-ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এনআরসিকে সমর্থন করে আসছে। ২০১৬ সালে আসামের রাজ্য সরকারে হিন্দু ও আদিবাসীদের সমর্থন নিয়ে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল। তবে চূড়ান্ত নাগরিক-পঞ্জি প্রকাশের আগেই বিজেপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে জানায় যে ওই তালিকাটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এর কারণ ওই তালিকায় প্রচুর বাঙালি হিন্দু ছিল - যারা দলের জন্য অনেক শক্তিশালী ভোটার- তারাই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় এবং অবৈধ অভিবাসী হওয়ার ঝুঁকিত পড়ে যায়। এখন বিজেপি প্রথম তালিকার "ভুল" সংশোধন করার জন্য এনআরসি-তে আরও একটি আপডেটের ঘোষণা দিয়েছে। এনআরসি'র সাথে করা এই নতুন নাগরিকত্ব আইন, এখন পুরনো অস্থিরতাকে উস্কে দিতে পারে বলে ভয় তৈরি হয়েছে। আসামের অহমীয়া ভাষী মানুষ যারা কিনা রাজ্যটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, তারা মনে করে যে, তারা বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে। যারা অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত ও নির্বাসিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিলের বিরোধীতাকারীরা বলছেন যে বড় আকারের অভিবাসনকে উষ্কে দেয়ায় তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় হুমকির মুখে পড়বে। মুসলমানরা আইনটি নিয়ে ক্ষুব্ধ কারণ তারা একে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে এবং তাদেরকে এক পর্যায়ে কেবল ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে আলাদা করে দেয়া হবে। বাংলাভাষী হিন্দুরা হতাশ হয়েছেন কারণ এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যাই বেশি, সে অনুপাতে মুসলমানদের সংখ্যা তেমন নয় বলে জানা গেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই আইনের আওতায় আসামের আদিবাসী অধ্যুষিত কয়েকটি অঞ্চলে বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। যেন অন্যান্য সম্প্রদায়ের অবৈধ অভিবাসীরা সেখানে বসতি স্থাপন করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। তবে অনেকেই বলছেন যে, পুরো রাজ্য এই নিয়মের আওতায় না পড়ায় এই "সুরক্ষিত" অঞ্চলে বাস করা অমুসলিম অভিবাসীরা আসামের অন্যান্য অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ ক্ষমা চাইতে পারে। "আমি মনে করি না বিজেপি আসামের নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-তে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল। এই ঘটনা, ভারতে মুদ্রা নিষিদ্ধ করার চাইতেও বড় ধরণের বিপর্যয়ে মোড় নিতে পারে।" বলেন ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল বিশেষজ্ঞ সুবির ভৌমিক। অঘোষিত সম্পদের হিসাব বের করতে ২০১৬ সালে ভারতের বিজেপি সরকার ভারতে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই উদাহরণ টেনে এমন মন্তব্য করেন মি. ভৌমিক। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে সহিংস বিক্ষোভ। এটা স্পষ্ট যে বিজেপি, সাধারণ মানুষ এ ধরণের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেনি। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার টুইট করেন যে তার সরকার "আসামের জনগণের রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ভূমির অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। তিনি বলেন, "কেউ আপনার অধিকার, স্বতন্ত্র পরিচয় এবং সুন্দর সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না"। মোদীর এই আশ্বাস বিক্ষোভকারীদের শান্ত করবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ভারতের একটি নতুন বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্ষোভে উত্তাল দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চা উৎপাদনকারী রাজ্য আসাম। যে আইন প্রতিবেশী তিনটি দেশের অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করে দেবে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
শিবচরের পৌর মার্কেট কীভাবে বিদেশফেরতদের জন্য জারি করা স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ লঙ্ঘণ করে অসতর্ক চলাফেরা ও আচরণের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিটি এতগুলো মানুষকে সংক্রমিত করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ বিবিসিকে জানিয়েছেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এই পরিবারটি সংক্রমণ চিহ্নিত হবার পরেই সরকারিভাবে শিবচরকে লকডাউন করবার সিদ্ধান্ত হয়। শিবচরে এই সংক্রমণের শুরু হয় দুজন ইতালিফেরত প্রবাসীর মাধ্যমে। এরা মূলত দুজন বন্ধু। প্রথমেই এদের দুজনকে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে এদের আত্মীয়স্বজনকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, একজনের বাবা, স্ত্রী, দুই সন্তান, শ্বাশুড়ি এবং শ্যালকের স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। শ্বাশুড়ি, শ্যালকের স্ত্রী এবং ইতালিফেরত একজন এখন মাদারিপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাকী পাঁচজন, অর্থাৎ ইতালিফেরত অন্য প্রবাসী, তার বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায়। শুরু থেকেই সরকারিভাবে বলা হয়ে আসছে, যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে। কিন্তু এই নির্দেশ কার্যকর করাটাই সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিবিসিরই একাধিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কীভাবে বিদেশফেরতরা বাংলাদেশে এসে অসচেতন এবং অসতর্কভাবে ঘোরাফেরা করেছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক জনসমাগমে হাজির থেকেছেন। এক শিবচরেই চলতি মাসে প্রায় সাতশ প্রবাসী ফিরেছেন। গুগল মানচিত্রে শিবচর যে কর্মকর্তা বিবিসিকে শিবচরের এই সংক্রমণের তথ্য দিয়েছেন, তিনি বলছিলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ঘরে আটকে রাখাটাই তাদের জন্য সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আজকেরই একটি উদাহরণ দিয়ে বলছিলেন, "এক বাড়িতে গিয়েছি, সে বাড়ির সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। সবার ঘরের ভেতরে থাকার কথা। কিন্তু ঢুকে দেখি সেখান থেকে একজন ফেরিঅলা বের হচ্ছেন। বাড়ির সবাই এই ফেরিঅলার কাছ থেকে কেনাকাটা করছেন"। যে ব্যক্তিটি ছয়জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন তার সম্পর্কে ওই কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, তিনি গত সাতই মার্চ বাংলাদেশে ফেরেন। এর একদিন পরেই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার খবর প্রকাশ হয়। এই খবর প্রকাশ হবার পর সারা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেই একধরণের উদ্বেগ তৈরি হয়। কিন্তু ইতালিফেরত ওই ব্যক্তি তার বাড়ির এবং শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়দের সাথে মেলামেশা অব্যহত রাখেন। ১১ই মার্চ ওই ব্যক্তিটির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গ দেখা দিলে তিনি মাদারিপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় আসেন। ঢাকাতেই পরীক্ষায় তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত বলে ধরা পড়েন। সাথে সাথেই ঢাকা থেকে প্রতিনিধিদল শিবচরে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিন করে। ধীরে ধীরে পরিবারের বাকী সদস্যদের মধ্যেও উপসর্গ দেখা দেয় এবং তারা একে একে আক্রান্ত বলে পরিগণিত করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস শিবচরের বর্তমান অবস্থা কী? ইটালি থেকে আসা দুইজন ছাড়া সরকারি হিসেব অনুযায়ী শুধু শিবচরে ৬৮৪ জন লোক বিদেশ থেকে এসেছেন যাদের মধ্যে অনেকেই ১৪দিন পার করেছে। ১৯শে মার্চ যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মাদারীপুর ফরিদপুরে লকডাউনের সম্ভাবনার কথা বলেন সেদিন বিকেলেই শিবচর উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুদ্দিন খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, শিবচর উপজেলায় শুধু ঔষধের দোকান এবং অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। মি. খান বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এ সময়ের মধ্যে শিবচর উপজেলায় থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সেখান থেকে বেরও হতে পারবেন না। মানুষ যাতে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে রাস্তায় পুলিশী টহল থাকবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জায়গা যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউন করা হয়। শিবচরের অবস্থা এখনো আগের মতোই বলছেন সহকারী পুলিশ সুপার, তবে তিনি বলছেন আগে যে দুইজন ছিলেন তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন। "অনেক স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে বলছেন তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।" তবে শিবচর থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলছেন, আতঙ্ক আছে। "একটা জিনিস যেটা খালি চোখে দেখা যায়না, যারা সচেতন তাদের আতঙ্ক বেশি কিন্তু যারা অসচেতন তারা কিছু মনেই করছেন না।" শিবচরের এই পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, তারা এটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও করছে। আমরা অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু এই লোকগুলো একজন আরেকজনের বাড়ি যাবে না সেটা ভাবতেও পারছে না। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, "অনেকের মধ্যেই ১৪দিনে লক্ষণ দেখা যায়না। কিন্তু কারো ১৪দিনে কোনো লক্ষণ দেখা গেল না কিন্তু পরিবারের কারো কাছে ছড়ায়, এরপর কিন্তু ২৮ দিনের ব্যাপার চলে আসে।" শিবচর থানা কর্তৃপক্ষ যেহেতু সবার পরীক্ষা করতে পারছে না আলাদাভাবে, তাই নিজের পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষ চিহ্নিত হয়েছেন, তার সাতজনই একটি পরিবার থেকে এসেছেন। এরা মাদারীপুরের শিবচরের একজন ইতালিফেরত প্রবাসীর পরিবারের সদস্য এবং শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়স্বজন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সৌদি আরবে কাজ করেন লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক ফেরত আসা শ্রমিকেরা বলছেন, তাদের অনেকেরই আকামা বা কাজের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা চিন্তিত এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে তারা কথা বলছেন। সৌদি আরব থেকে শুক্রবার ২০০জন প্রবাসী শ্রমিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরদিন শনিবার ফেরত পাঠানো হয়েছে আরো ১৬০ জনকে। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংস্থা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় কেবল অক্টোবর মাসেই ৮০৪ জন শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন। এদের একজন সিরাজগঞ্জের মোঃ: শহীদুল ইসলাম যিনি এ বছরের জানুয়ারিতে জেদ্দায় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নিয়োগ পত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। এখনো তার ভিসার মেয়াদ আছে আরো তিন মাস। তিনি বিবিসিকে বলেন, "আমি মার্কেটে গেছিলাম, সেখান থেকে বের হবার পরই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। সাতদিন সেখানকার জেলে থাকার পর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। কোন কথা শুনে নাই। কিন্তু আমার আকামার মেয়াদ আছে সামনের (২০২০ সালের) জানুয়ারির ৩০ তারিখ পর্যন্ত।" সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করছেন বহু বাংলাদেশী নারী। (ছবিটি প্রতীকী) শুক্রবারে ফেরত আসা চট্টগ্রামের আব্দুল্লাহ আল নোমানের কাজের বৈধ অনুমোদন বা আকামা শেষ হতে আরো কয়েক মাস বাকি। কিন্তু তার মা ফেরদৌস আরা বেগম বলেছেন, আকামার মেয়াদ শেষ হবার আগেই তার ছেলেকে কপর্দকশূন্য অবস্থায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। "আমার ছেলের আকামার মেয়াদ শেষ হতে সময় বাকি আছে। কিন্তু তার মালিক কাগজপত্র বৈধ করে দেবার কথা বলে ঘুরাচ্ছে, করে দিচ্ছে না। এদিকে ছেলে হঠাৎ করে গ্রেপ্তার হয়ে চারদিন জেল খেটে দেশে ফেরত আসছে, কিছু নিয়া আসতে পারে নাই।" বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক বলছে, ২০১৯ সালে সৌদি আরব থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক দেশে ফিরেছেন, এদের মধ্যে এক হাজারের বেশি নারী শ্রমিকও রয়েছেন। কী বলছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিবিসিকে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তিত এবং দেশটির সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে তারা কথা বলছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তারা যেসব কোম্পানিতে কাজ করতেন সেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দূতাবাসকে জানিয়েছে এদের অনেকে আকামার আইন ভেঙ্গেছেন, অর্থাৎ এক প্রতিষ্ঠানে কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আবার কেউ নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। "বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। কিন্তু এর আগে আমরা বেশ কয়েকবারই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেছি, সৌদি আরবের আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে সৌদি আরবে যে ভিসাতে আসবেন ঠিক সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিজের কাজের বাইরে অন্য জায়গায় কাজ করছে বা অবস্থান করছে। সেসব তারা প্রমাণসহ আমাদের দেখিয়েছে।" ঢাকায় পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এখন এ সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে, ফেরত আসা শ্রমিকদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, তাদের যে কাজের কথা বলে নেয়া হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি কাজ করানো হত। কারো অভিযোগ তাদের নিয়মিত বেতন দেয়া হতো না। সৌদি আরবের নির্মাণ শিল্প পুরোটাই বিদেশী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল নির্যাতনের অভিযোগ শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানোর অভিযোগও শোনা গেছে এর আগে। সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মিঃ মসিহ বলেছেন, এসব সমস্যার ক্ষেত্রে একজন শ্রমিকদের উচিত সবার আগে বিষয়টি দূতাবাসকে জানানো। "সৌদি আরবের শ্রম আইন খুবই শক্ত, নিয়োগদাতা এবং কর্মী উভয়ের জন্যই। ধরুন, নির্ধারিত সময়ের বাইরে যদি কাজ করানো হয়, সেজন্য আইন আছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা পদক্ষেপ নেই, লেবার কোর্টে যাই। তাদের ফাইন (জরিমানা) করা হয়, এবং ওদের জেলও হয়।" "সমস্যা হলে আমাদের জানাতে হবে, কিন্তু তা না করে এক কোম্পানি ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে যাওয়াটা তো পুরোপুরি বেআইনি।" সৌদি আরবে কাজ করতে যাবার আগে একজন শ্রমিককে যদি সংশ্লিষ্ট দেশের আইন সম্পর্কে ঠিকমত জানানোর ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এ সমস্যা অনেকটাই সমাধান করা যাবে বলে তিনি মনে করেন। তবে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেছেন, বিদেশে যাবার আগে অনেক শ্রমিকই প্রতারণার শিকার হন। এক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়া কিংবা বৈধ কাগজপত্রের মেয়াদ শেষের পরেও সেদেশে থেকে যাওয়ার চেষ্টা---এগুলো প্রতারণার শিকার হবার কারণেও ঘটে বলে তিনি মনে করেন। "যেমন অনেক শ্রমিককে বলা হয়েছে, ফ্রি ভিসার কথা, মানে তারা যেখানে খুশী কাজ করতে পারবে। কিন্তু সৌদি আরবে তো আইন হচ্ছে যে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরী নিয়ে গেছে, তাকে সেখানেই কাজ করতে হবে। ফলে যে জানত না সে কোন কারণে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে ফেরত আসে। অনেককে যাবার কয়েক মাসের মধ্যেই ফিরতে হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারেননি তারা।" মিঃ হাসান বলছেন, "আরেকটা কারণ হলো, অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করে গেছে একজন, কিন্তু তার মেয়াদ হয়ত দুই বা তিন বছর। এই সময়ে সে যে টাকা খরচ করে গেছে, তা তুলতে পারে না। ফলে আকামার মেয়াদ শেষেও সে থেকে যাবার চেষ্টা করে। এভাবেও সে ঐ দেশে গ্রেপ্তার হয়, পরে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তাকে।" তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে এসব অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের বড় অংশটি কাজ করেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। কিন্তু শ্রমিক ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও সৌদি আরব এ বছর শীর্ষে রয়েছে। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা কারণে মোট ৩৫ হাজার শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি ফেরত এসেছে সৌদি আরব থেকে।
গত দুই দিনে সৌদি আরব থেকে ৩৫০জনের বেশি প্রবাসী শ্রমিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কাশ্মীরের অনেক বাসিন্দা জানেন না কী ঘটেছে - তারা শুধু জানেন তারা স্বাধীনতা হারিয়েছেন। এমনটাও কেউ বলছেন, যে চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের ভারত-ভুক্তি হয়েছিল, সেটাই তো এখন আর রইল না আর তার মধ্যেই অন্যান্য রাজ্য থেকে কাশ্মীরে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন যে কোনও উপায়ে। বাইরে থেকে খবর সংগ্রহ করতে কাশ্মীরে যেসব সাংবাদিক গেছেন , তাদের প্রায় কেউই সর্বশেষ খবরাখবর জানাতে পারছেন না। ভারত শাসিত কাশ্মীর রবিবার রাত থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কারফিউ চলছে, দোকান, স্কুল কলেজ সব বন্ধ। বন্ধ মোবাইল আর ল্যান্ডলাইন ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা, এমনকী কেবল টিভিও। বিবিসি-র সংবাদদাতা জুবেইর আহমেদ বেশ কয়েকদিন চেষ্টার পরে কোনওক্রমে সেখানকার পরিস্থিতি আর মানুষের কথা রেকর্ড করে দিল্লিতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি জানাচ্ছেন, রাজধানী শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িতে চড়ে মাইকে বলতে বলতে যাচ্ছে যে কারফিউ জারি রয়েছে, কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন। রাস্তাঘাট শুনশান কদিন ধরেই। প্রতিটা রাস্তায়, গলির মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীর: বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে কি বলছে কাশ্মীরের মানুষ কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিল: এক বাঙালিকে বিজেপির স্মরণ 'কাশ্মীর বিচ্ছিন্ন, তার মধ্যেও চলছে বিক্ষোভ' রাস্তাঘাট শুনশান কদিন ধরেই। প্রতিটা রাস্তায়, গলির মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারা। জুবেইর আহমেদ বলছিলেন, "শ্রীনগর বা তার আশপাশের এলাকায় আমরা যেখানেই যাচ্ছি, সেখানে মানুষজন প্রায় চোখেই পড়ছে না। যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি, তারা সকলেই সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।" "বেশিরভাগ নেতাই আটক হয়ে রয়েছেন, তারা ছাড়া পাওয়ার পরে যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সেইভাবে প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন মানুষ, এমনটাই বলছেন তারা।" দিল্লির মানবাধিকার সংগঠন রাইটস এন্ড রিস্কস অ্যনালিসিস গ্রুপের প্রধান, সুহাস চাকমা বলছিলেন, এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় মানুষদের সমর্থন পাবে না বুঝেই সরকার গোটা রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে দিয়েছে। "সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে স্থানীয় মানুষের সমর্থন নেই। সেজন্যই যেকোন রকম প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য একরকম একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে সেখানে। কিন্তু হাতি মারা গেলে কি লুকিয়ে রাখা যায়?" বলছিলেন মি. চাকমা। বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আবার কিছু এলাকায় বিক্ষোভ চলছে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেইসব খবর যাচাই করার উপায় নেই। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মুতে বিজেপি সমর্থকদের বিজয়োল্লাস। তবে জম্মু আর লাদাখ অঞ্চল থেকে জানা যাচ্ছে যে সেখানকার বহু মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে বিজয়োল্লাস করছেন। ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দোৎসব, মিষ্টি বিলি, নাচ এসব হচ্ছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষ এখনও খুব ভাল করে জানেনই না, যে সংবিধানের যে ধারা দুটির মাধ্যমে তাদের রাজ্যটিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের কানে যেটুকু এসেছে, তাতেই তাদের মনে হয়েছে, যে স্বাধীনতা তারা ভোগ করতেন, সেটা হারালেন তারা। বারামুলার এক বয়স্ক লোক বিবিসিকে বলছিলেন, "ওই ধারা দুটি আমাদের কাছে স্বাধীনতার মতো ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে আমি যেন স্বাধীনতা হারালাম। আমি এখন আর স্বাধীন নই।" আরেক যুবকের কথায়, "ভারত সরকারের যা ভাল মনে হয়েছে তা করুক। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি বন্ধ কেন করে দিল সরকার! তার মানেই এখানকার মানুষের বিরুদ্ধে কোনও পরিকল্পনা এটা। ৩৭০ আর ৩৫এ - এই দুটো ধারার মাধ্যমেই তো কাশ্মীরের ভারতভুক্তি হয়েছিল। সেদুটো তুলে দেওয়ার অর্থ বিয়েটাই তো ভেঙ্গে গেল।" অন্যদিকে বাইরে থেকে ওই রাজ্যে কাজে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ কোনওভাবে সেখান থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। হাজার হাজার মানুষ কাশ্মীর ছেড়ে চলে আসার চেষ্টা করছে। তাদের কেউ কেউ বলছেন বাস স্টেশনে তারা বেশ কয়েকদিন ইতিমধ্যেই কাটিয়ে দিয়েছেন। কোনও খাবার নেই, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না তারা। "ঘরে ঘরে গিয়ে বলা হচ্ছে তাড়াতাড়ি চলে যেতে। অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে," বলছিলেন একজন। আরেকজন বলছিলেন, "আমি বিহার থেকে এসেছি কাশ্মীরে রঙ মিস্ত্রির কাজ করতে। আগের দিন থেকে চেষ্টা করছি বাস ধরার। কিন্তু গাড়ি পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার লোক ফিরতে চাইছে।" এই রকম একটা অভূতপূর্ব পরিস্থিতি আগে কখনও ভারত শাসিত কাশ্মীরে হয় নি। কিন্তু সেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি বা অন্যান্য সংগঠনের কোনও প্রতিবাদ চোখে পড়ছে না কেন, জানতে চেয়েছিলাম কলকাতার সিনিয়ার সাংবাদিক ও বিশ্লেষক বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের কাছে। "শুধু তো ৩৭০ বা ৩৫এ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার সময়ে নয়, সংসদের এই অধিবেশনে অন্যান্য আরও কিছু বিল নিয়েও দেখলাম বিরোধী গোষ্ঠী দ্বিধাবিভক্ত।" তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তারা যেমন বিজেপির হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার মোকাবিলা করতে গিয়ে নিজেরাও নরম হিন্দুত্বের কথা বলতে শুরু করেছিল, কাশ্মীর ইস্যুতেও দেখছি তারা দ্বিধায় রয়েছে।" "কতটা প্রতিবাদ করবে, যদি প্রতিবাদ হয় তাহলে যেটুকু যা তাদের ভোটব্যাঙ্ক অবশিষ্ট আছে, সেটা থাকবে কী না - এইসব তাদের ভাবাচ্ছে," বলছিলেন মি. ভট্টাচার্য। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'একটা শ্রেণী হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে' ডেঙ্গু: যে কারণে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা কম ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যা করতে ভুলবেন না কাশ্মীরীদের সঙ্গে একাত্মতা দেখাতে দিল্লিতে বিক্ষোভ হয়েছে বুধবার। কংগ্রেস দলের উদাহরণ টেনে মি. ভট্টাচার্য বলছিলেন যে দলের একেকজন নেতা একেকরকম বক্তব্য দিচ্ছেন। সেগুলো পরস্পরবিরোধী মন্তব্য। কেউ এটাকে সমর্থন করছেন, কেউ বিরোধীতা করছেন। আবার কেউ বিরোধীতা করতে গিয়ে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়ে সংসদে হাসির খোরাক হচ্ছেন। ৩৭০ আর ৩৫এ প্রত্যাহারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো যেমন দ্বিধাবিভক্ত, তেমনই অবস্থান ভারতের সংবাদমাধ্যমেরও। হাতে গোণা কয়েকটি টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্র সরকারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন তুললেও বেশিরভাগ গণমাধ্যমই সরকারের পক্ষ নিয়েছে।
ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে সেখানকার মানুষ মনে করছেন তারা স্বাধীনতা হারিয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
প্রশ্ন উঠছে যে নির্বাচন কমিশন সহিংসতার ব্যাপারে কঠোর হতে পারছে না কেন? সহিংসতা নিয়ে অভিযোগ অব্যাহত রেখে নির্বাচন কমিশনকে চাপের মধ্যে রেখেছে বিরোধীদল বিএনপি এবং তাদের জোট । তাদের অভিযোগকে 'গুরুত্ব না দেবার' অভিযোগে তারা কমিশনের সাথে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও দাবি করেন। তবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আইন অনুযায়ী অভিযোগগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযোগের আগুনে ঘি ঢেলেছেন একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি 'নির্বাচন আর সহিংসতা একসাথে চলতে পারে না' - এমন বক্তব্য দেয়ার ফলে নির্বাচন কমিশন এক ধরণের অস্বস্তিতে পড়েছে। শেষ মুহূর্তেও কেন এসব প্রশ্ন বা অভিযোগ থেকে রেহাই মিলছে না নির্বাচন কমিশনের? বিএনপি এবং তাদের নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশেষ অভিযোগ করে যে তাদের প্রার্থী বা সমর্থকদের ওপর প্রায় দুইশ সহিংস হামলার অভিযোগ বা উদ্বেগকে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বই দেয়নি, কোন ব্যবস্থাও নিতে পারে নি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করছে যে ৫১টি জেলার ৮৮টি আসনে তাদের নেতাকর্মীদের ওপরই হামলা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সিইসির পদত্যাগ দাবি করলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা 'নিরাপত্তা হুমকি'র মুখে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন 'নির্বাচন প্রার্থীদের জন্য একটি উচ্চমানের ব্যবসা' সেনাবাহিনী নেমেছে, কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে কি? নির্বাচন কমিশনের সাথে বিএনপিসহ বিরোধীজোটের নেতাদের বৈঠক তবে একজন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। তিনি বলছেন, তারা কোন চাপের মধ্যে নেই এবং তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনের পর এবারই প্রথম একটি রাজনৈতিক দলের সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে - যাতে সবগুলো দল অংশ নিচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে বলেই প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্বাচন কমিশনের চাইতে সরকারের প্রভাব বেশি থাকছে - বলছেন এই বিশ্লেষকরা। সেখানে কমিশন কঠোর ভূমিকা রাখতে পারছে না এবং নানা বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচনের তিন দিন আগে এক বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। এবারের নির্বাচনকে সব পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে না পারলে জাতির আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।" এর আগেও এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিভিন্ন ইস্যুতে ভিন্নমত তুলে ধরেছেন এবং সংবাদমাধ্যমের কাছেও সেই বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তাঁর এবারের বক্তব্য নিয়েও অন্য কমিশনাররা কিছু বলতে রাজি নন। তারা মনে করেন,এটি ব্যক্তিগত মতামত। তবে নির্বাচনের তিনদিন আগে মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য কমিশনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে কমিশনের সূত্রগুলো বলছে। নির্বাচন কমিশনের সাবেক একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেসমিন টুলী বলেছেন, কমিশন শুরু থেকেই আচরণবিধি নিয়ে প্রার্থীদের চাপের মধ্যে রাখতে পারে নি। সেজন্য প্রার্থীরাই অভিযোগ দিয়ে কমিশনকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সংসদ নির্বাচন: দেখে নিন কার ইশতেহারে কী আছে? 'মুসলিমরা সপ্তাহে একদিন নামাজ পড়লেই শান্তি নষ্ট?' জাপানে চাকরির লোভে অর্থ লেনদেন না করতে পরামর্শ
বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে এসেও নির্বাচন কমিশন বিতর্ক এড়াতে পারছে না। প্রশ্ন উঠছে- প্রচারাভিযানের সময় একের পর এক সহিংস হামলার ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কতটা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে?
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের বক্সে থাই কিশোর ফুটবল দল "ওয়াইল্ড বোর" ফুটবল দলের এই কিশোরদের সিংহভাগেরই প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ১১ থেকে ১৬ বছরের এই থাই কিশোর ফুটবলারদের ওল্ড ট্রাফোর্ডে "বিশেষ অতিথির" মর্যাদা দেওয়া হয়। এভার্টন ক্লাবের সাথে ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ডে নিয়ে ম্যানেজার জোসে মরিনিও এবং খেলোয়াড়দের এই কিশোরদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তাদের প্রিয় দলের প্রিয় তারকাদের সাথে কথা বলার এবং ছবি তোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পল পগবা, অ্যান্থনি মার্শিয়াল, অ্যাশলে ইয়াং এর মত তারকাদের সাথে থাই এই কিশোর ফুটবলারদের ছবি ক্লাবের টুইটার পাতায় পোস্ট করা হয়েছে। আরও পড়ুন: গুহা থেকে উদ্ধার শিশুরা জনসম্মুখে এসে যা জানালো ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ স্বপ্নের তারকাদের সান্নিধ্যে উৎফুল্ল থাই গুহা বালকের দল পরে ক্লাব ডিরেক্টরদের জন্য সংরক্ষিত বক্সে বসে তাদের ম্যাচ দেখতে দেওয়া হয় হয়। ম্যাচের আগে দর্শকদের সাথে তাদের পরিচয় করে দেওয়ার সময় বিশাল আওয়াজ তুলে দর্শকরা এই কিশোরদের সম্বর্ধনা জানায়। তবে আগের দিনই (শনিবার) এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রিমিয়ারশিপের আরেক ক্লাব লেস্টার সিটির থাই মালিক ভিচাই শ্রী ভাদানাপ্রাপা'র মৃত্যুর ঘটনা এই কিশোরদের ম্যানচেস্টার সফরকে কিছুটা মলিন করে দিয়েছে।
জুলাইতে দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশে গুহায় আটকে পড়া যে ১২ জন থাই কিশোরের উদ্ধারের চেষ্টা বিশ্বের নজর কেড়েছিল, তারা রোববার ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে তাদের প্রিয় দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে এভার্টনের একটি ম্যাচ দেখেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সৌদি আরব সম্পর্কে মি. জনসন অভিযোগ করে বলেছেন, দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে 'প্রক্সি ওয়ার' চালাচ্ছে, অর্থাৎ অন্যকে দিয়ে যুদ্ধ করাচ্ছে। ব্রিটেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র-দেশ সৌদি আরব সম্পর্কে এই মন্তব্য করার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট থেকেও মি. জনসনকে প্রকাশ্যে তিরস্কৃত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য নয়। এতে সরকারের অবস্থান প্রতিফলিত হয়নি।" বরিস জনসনের এই মন্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে তার নিজের ও ক্ষমতাসীন দল কনসারভেটিভ দলের ভেতরেও। অনেকে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করার সময় তার এধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বাহরাইনে গুরুত্বপূর্ণ এক আঞ্চলিক সম্মেলনে বরিস জনসনের আজ শুক্রবার মূল প্রবন্ধ পাঠ করার কথা রয়েছে। এরপর রবিবার তিনি যাবেন সৌদি আরব। ইয়েমেনের সানায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীর বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বরিস জনসনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর 'পূর্ণ আস্থা' রয়েছে। তবে মি. জনসনের এই মন্তব্য একেবারেই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক আরো জোরালো করার ব্যাপারে ব্রিটেনের আগ্রহের কথা মি. জনসন তার সফরকালে তুলে ধরবেন। এবং ইয়েমেনে সৌদি আরবের 'বিতর্কিত সামরিক অভিযানে' ব্রিটেনের সহযোগিতার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করবেন। সৌদি আরবকে আক্রমণ করে বরিস জনসন মন্তব্য করেছিলেন গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে। কিন্তু ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র দ্যা গার্ডিয়ানে তার একটি ভিডিও পোস্ট করার পরেই সেটি আলোচনায় চলে আসে। ভিডিওতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়: "এরকম রাজনীতিক আছেন যারা ধর্মকে নিয়ে পাকায় এবং ধর্মকে অপব্যবহার করে। তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থেই তারা এটা করে থাকে।" "এই গোটা অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) যতো বড় বড় সমস্যা আছে এটি তার একটি। আর সে কারণেই সেখানে প্রক্সি ওয়ার চলছে অর্থাৎ একজন আরেকজনকে দিয়ে যুদ্ধ করাচ্ছে। এর কারণ হলো এসব দেশে শক্তিশালী কোন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি।" সৌদি বাদশার সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরব ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র অন্যদিকে, অনেকেই মি. জনসনের পক্ষ নিচ্ছেন। তারা বলছেন, তিনি বাস্তবতাকে তুলে ধরতে সত্য কথা বলছেন। ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা এবং সরকারের একজন মন্ত্রী গেভিন বারওয়েল বলেছেন, "আমাদের মধ্যে যেসব বিষয়ে উদ্বেগ আছে সেগুলো তুলে ধরাই তার কাজ।" তিনি বলেন, "সৌদি আরব আমাদের বন্ধু। তবে আমাদের ভোটারদের অনেকেরই দেশটির ব্যাপারে কিছু সমালোচনা রয়েছে। তারা চান এই বিষয়গুলি যেন আমরা তুলে ধরি।" আরেকজন নেতা সারাহ উলাস্টন বলেছেন, "প্রক্সি ওয়ার প্রসঙ্গে বরিস সত্য কথা বলেছেন। সেখানে জাতিগত সংঘাত বন্ধ করার জন্যে সব পক্ষের এগিয়ে আসার সময় হয়েছে।" ইয়েমেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি আরো যোগ করতে চাই শিরশ্ছেদ, নির্যাতন, নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং ইয়েমেনে বেসামরিক লোকজনের ওপর বোমা হামলার কথাও।"
সৌদি আরবকে নিয়ে করা কিছু মন্তব্যকে ঘিরে হৈচৈ এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
টুইটার বালিকা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে সিরিয়ার আলেপ্পোর বানা আলাবেদ ২রা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫২ মিনিটে বানা তার টুইটারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দে‍শ্য করে নতুন এই টুইটটি করে। সিরিয়ার অবরুদ্ধ আলেপ্পো শহর থেকে বানা আলাবেদ মায়ের সহায়তায় নিয়মিত টুইট করত। ওইসময় তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বিশ্বজোড়া খ্যাতি পায়, 'আলেপ্পোর টুইটার বালিকা' হিসেবে খ্যাতিও পেয়ে যায় বানা। গত ডিসেম্বর মাসে আলেপ্পো থেকে যখন আটকে পড়া মানুষ জনকে উদ্ধার করা হচ্ছিল তখন পরিবারের সাথে উদ্ধার পায় বানা আলাবেদও। এখন সে তুরস্কে বসবাস করছে। এর আগে বানা মি: ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে লিখেছিল "সিরিয়ার শিশুদের জন্য আপনাকে কিছু করতেই হবে। কারণ তারা আপনার সন্তানদের মতোই। তারাও আপনার মতো শান্তিতে থাকার অধিকার রাখে"। আরও পড়ুন: আপনার মোবাইল নাম্বার কতটা নিরাপদ? ৬০ লাখ ডলার জরিমানার মুখে পড়লো ট্রাম্পের গলফ ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সবচেয়ে 'বাজে ফোনালাপ' ট্রাম্পের ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পক্ষে বেশিরভাগ আমেরিকান ট্রাম্পের প্রতি বানার নতুন ভিডিও তার টুইটারে সিরিয়াসহ সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মি: ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে বানা আলাবেদ। টুইটারে বানা লিখেছিল, "প্রিয় ট্রাম্প শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আর এটি যদি ভালো সিদ্ধান্তই হয় তাহলে আপনার জন্য আমার পরামর্শ হলো অন্য দেশগুলোতে শান্তি স্থাপন করুন"। মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মি: ট্রাম্প আবার নিজের যুক্তি তুলে ধরে টুইটারে বলেছিলেন "খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আসা খারাপ লোকদের নিজের দেশের বাইরে রাখাই আমার উদ্দেশ্য"। এরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বানা আলাবেদ। গতকাল অর্থাৎ ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বানার টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পরে পোস্ট শেয়ার করে লেখা- "আমি কি সন্ত্রাসী?"
"মি: ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনাকে কি কখনও খাবার বা পানি ছাড়া ২৪ ঘণ্টা ক্ষুধার্ত পেটে থাকতে হয়েছে? শুধু একবার সিরিয়ার শরণার্থী ও শিশুদের কথা ভেবে দেখুনতো"- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ এই প্রশ্ন করেছে টুইট করে খ্যাতি পাওয়া সিরিয় বালিকা বানা আলাবেদ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে গড়াবে গোলাপী বল। আর এই ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশের নামও। গোলাপি বলের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে ইডেনের সবুজ মাঠ আর তার আশপাশটাও এখন গোলাপীময়। "কিছু আপনারা ইতিমধ্যেই দেখছেন, আর শুক্রবার খেলার সময়ে আরও দেখবেন কীভাবে গোলাপি হয়ে ওঠে গোটা ইডেন," বলছিলেন আয়োজক ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। "সিএবির সব কর্মকর্তা, মাঠে যারা কাজ করবেন - সবাই গোলাপি জামা পরবো, খেলার ব্রেক টাইমে চারটে বড় ফ্লাড লাইট স্ট্যান্ডে গোলাপি আলো জ্বলবে। স্টেডিয়ামের সব স্তম্ভগুলো গোলাপিতে মুড়ে দেওয়া হয়েছে, গঙ্গায় গোলাপি নৌকো চলছে, ম্যাসকট দুটোর রঙ গোলাপি আর নীল।" একদিনের ক্রিকেট আর টি-টোয়েন্টির যুগে আভিজাত্য টিকিয়ে রেখে কীভাবে দর্শকদের টেস্ট-মুখী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা অনেক দিনের। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে বলের রঙ আর ম্যাচের সময় বদলিয়ে বছর চারেক আগে থেকে শুরু হয় পিঙ্ক বল বা গোলাপি বল টেস্ট। ২০১৫ সালে গোলাপি বল দিয়ে দিন-রাতের প্রথম টেস্ট হয় অস্ট্রেলিয়ায়। টিকেটের জন্যে লাইন আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ টেস্ট দলটি কি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন? আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগের নেপথ্যে পিঙ্ক বল টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ এসেছিল ভারতের কাছেও। তবে গোলাপি বলে খেলার অনভিজ্ঞতার কারণ দেখিয়ে বারে বারেই সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। ইডেন টেস্টে গোলাপি বলে খেলতে প্রথমে রাজি ছিল না বাংলাদেশ দলও, বলছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষক বোরিয়া মজুমদার। ভারত আর বাংলাদেশকে পিঙ্ক বল টেস্ট খেলতে রাজী করানোর পুরো কৃতিত্বটাই বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে দিতে চান মি. মজুমদার। "সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম যে বৈঠকটা করেন ভিরাট কোহলির সঙ্গে, সেখানে প্রথমেই পিঙ্ক বল টেস্টের প্রসঙ্গ তোলেন। সৌরভ বলেন যে টেস্টে দর্শক আসছেন না - তাই তোমাদের পিঙ্ক বল টেস্ট খেলায় রাজী হওয়া উচিত।" "চোখের পলক পড়ার আগেই ভিরাট কোহলি রাজী হয়ে যান," বলছিলেন মি. মজুমদার। "বাংলাদেশ বোর্ডও বলেছিল ওদের প্লেয়ারদের। কিন্তু তারা রাজী হন নি। পরের দিনই সৌরভ তাদের বোঝাতে থাকেন যে আমরাও আগে পিঙ্ক বলে খেলি নি, তোমরাও খেল নি। তাহলে তো দু'দলের কাছেই ব্যাপারটা নতুন। তারপরেই বাংলাদেশের প্লেয়াররা রাজী হন।" বলের রঙ আর খেলার সময় বদলিয়ে টেস্টের মাঠে দর্শক টেনে আনার এই উদ্যোগ যে বেশ সফল, সেটা বোঝাই যাচ্ছে টিকিট বিক্রি দেখে। একতারা নিয়ে বাংলাদেশী এক ভক্ত ছুটে গেছেন কলকাতায়। সিএবি বলছে, প্রথম চারদিনের টিকিট সম্পূর্ণ শেষ, অর্থাৎ ওই চারদিন মাঠে হাজির হবেন ৬৫ থেকে ৭০ হাজার মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে তাই ইডেনে টিকিটের খোঁজে এসে ফিরে যাচ্ছেন বহু মানুষ। এই টেস্ট যে কিছুটা হলেও উন্মাদনা তৈরি করেছে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেটাও দেখা গেল টিকিটের লাইনে। টিকিট কাটতে আসা স্বর্ণালী ভট্টাচার্য বলছিলেন, "আমি এমনিতেই খেলা দেখতে ভালবাসি। তার ওপর এরকম একটা ঐতিহাসিক টেস্ট - আবার পিঙ্ক বলে খেলা। এই সুযোগ ছাড়া যায় নাকি?" জয়িতা শীল এসেছিলেন স্কুল ফেরত শিশুকন্যাকে নিয়ে। তার স্বামী আগেই অনলাইনে টিকিট বুক করে রেখেছেন। তিনি বলেন, "ইডেনে বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট আর গোলাপি বলের প্রথম ম্যাচ, তাই আমার স্বামীর খুব উৎসাহ যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাঠে আসবে।" বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন খেলা দেখতে। ইডেন আর তার আশপাশে চোখে পড়ছে সেদেশের জাতীয় দলের টি-শার্ট পরা মানুষজন। কাশেম জামাল আর কামরুন্নাহার বকুল দম্পতি খেলা দেখতে কলকাতায় এসেছেন ঢাকা থেকে। মি. জামাল বলছিলেন, "আমি আগে অনেকবার ইডেনে খেলা দেখেছি - ভারত-পাকিস্তান, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখব, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, গোলাপি বলে খেলা হবে দিনরাতের টেস্ট - এগুলো আমার কাছে একটা আবেগ তৈরি করেছে।" এসেছেন বাংলাদেশের পরিচিত ক্রীড়াপ্রেমী নূর বক্স, হাতে একতারা নিয়ে। স্টেডিয়াম সাজানো হচ্ছে গোলাপি রঙে। "আমি তো গত পনেরো বছর ধরে দেশের সব ম্যাচ দেখি বিনা-পয়সায়। সরকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, বিদেশেও খেলা দেখতে গেছি, শ্রীলঙ্কা গেছি, এবার ভারতে এসেছি। দিল্লি, রাজকোট, নাগপুর, ইন্দোর - সব জায়গায় বাংলাদেশ টিমের খেলা দেখতে গেছি," বলছিলেন মি. বক্স। ভারতীয় নারী দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও নির্বাচক মিঠু মুখার্জী বলছেন, "আমাদের ছোটবেলায় এই ইডেনের টেস্টেও গ্যালারি ভরে যেত। তখন ওয়ানডে আর টি২০ ছিল না। কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের জীবনযাত্রাও বদলে গেছে। সেই হিসাবে দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত খেলা দেখাটা বেশ ভাল সময়। আমার তো মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাট জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।" কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দর্শক সকলেই এখন তাকিয়ে আছেন ম্যাচ শুরুর ওই মুহূর্তের দিকে, যখন হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুজন প্যারাট্রুপার - তারা দুটি গোলাপি বল তুলে দেবেন দুই দলের দুই অধিনায়কের হাতে। আরো পড়তে পারেন: সড়ক আইন বাস্তবায়নে সরকার কি ছাড় দিচ্ছে? এবার গোটা ভারতেই এনআরসি চাইছে বিজেপি সরকার ইনজেকশন বিতর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত আশ্বাসের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার মালিক-শ্রমিকদের
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তৈরি হবে আরও এক ইতিহাস: উপমহাদেশের প্রথম 'পিঙ্ক বল' টেস্টের আয়োজক হিসাবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেমন, ইমরানের মতো ব্যক্তিত্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার একটা চমৎকার সুযোগ এসেছে বলে ইসলামাবাদে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু আবার দিল্লিতে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইমরান খানের সাফল্যের পেছনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যে প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল তাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে। পাকিস্তানের পালাবদল দুই দেশের সম্পর্কে আদৌ কোনও পরিবর্তন আনবে কি না, তা নিয়ে দুই দেশের পর্যবেক্ষকদেরই মতামত জানার চেষ্টা করেছিলাম। একুশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ভারতের বিরুদ্ধে বহু স্মরণীয় জয় পেয়েছেন ইমরান খান। কিন্তু ঠিক বাইশ বছর আগে রাজনীতিতে নামার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সেকেন্ড ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছেন, তাতে তিনি কীভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অ্যাড্রেস করবেন তা নিয়ে আসলে এখনও বহু প্রশ্ন। সাবেক পাকিস্তানি কূটনীতিবিদ রিয়াজ খোকার তবে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও দিল্লিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া রিয়াজ খোকার কিন্তু বেশ আশাবাদী। মি খোকার বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "দেখুন একজন সম্পূর্ণ আনকোরা নতুন নেতা, নতুন ব্যক্তি আর নতুন দল ক্ষমতায় এল - যেটা আমার মতে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের জন্যই সম্পর্কটা শুধরে নেওয়ার দারুণ একটা সুযোগ। তার জয়টা প্রশংসনীয় ছিল, ভারতও নিশ্চয় সেটা খেয়াল করবে।" "আর ইমরানের পরিচিতি তো শুধু দক্ষিণ এশিয়াতে নয়, সারা দুনিয়া জুড়ে। তাকে ভারত সরকার উষ্ণ অভিনন্দনবার্তা পাঠালে আমি মনে করি সেটা দারুণ সৌজন্য হবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নতুন সূচনারও জন্ম দিতে পারে।" কিন্তু রাজনীতিবিদ ইমরান খান নানা সময়ে যে সব ভারতবিরোধী বিবৃতি দিয়েছেন, কিংবা কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলাকারীদের প্রতি পর্যন্ত সমর্থন জানিয়েছেন তাতে তাকে নিয়ে ভারতে একটা সন্দেহের বাতাবরণ আছেই। ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব সালমান হায়দার অবশ্য মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যক্তিগত ক্যারিশমা সেই ছবিটা কিছুটা পাল্টাতেও পারে। মি হায়দার বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "ইমরান খান একজন গগনচুম্বী ব্যক্তিত্ব, জীবনের নানা ক্ষেত্রে তিনি সাফল্য পেয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাকে এতদিন অত সিরিয়াসলি না নিলেও ভারতও এখন দেখছে তার দল ভাল ফল করছে, এবং অনেক চ্যালেঞ্জ সামলেও রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি নিজেকে ক্রমশ পরিণত করে তুলছেন।" ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সালমান হায়দার আমাদের পেজে আরও পড়ুন: পাকিস্তান নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান পাকিস্তানে নির্বাচন তারপরও অভ্যূত্থানের ভয় পাকিস্তানে ভোট চলছে: ইমরান খানের সময় এসেছে? তবে ইমরান খানকে নিয়ে ভারতের সন্দেহের সবচেয়ে বড় কারণ, তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর 'পছন্দের লোক'। সালমান হায়দারের কথায়, "এই যে ইমরান খানকে আর্মির 'চোজেন ওয়ান' বলা হচ্ছে - তাতে তার কাজকর্মে কতটা স্বাধীনতা থাকবে সেটাই কিন্তু দেখার বিষয়। আমি এত তাড়াতাড়ি এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাই না, তবে তারপরেও এটা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই।" সাবেক পাকিস্তানি শীর্ষ কূটনীতিক রিয়াজ খোকারের মতে আবার এই আশঙ্কাটা একেবারেই অমূলক। তিনি যুক্তি দিচ্ছেন, "নির্বাচন কিন্তু খুবই সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে - এখানে কোনও প্রতিষ্ঠান বিশেষ কাউকে বেছে নিয়েছে তা মোটেও নয়। বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন, আর নওয়াজ শরিফের পার্টির জনপ্রিয়তাতেও যে ভাঁটা পড়েছিল তাতেও কোনও ভুল নেই।" যদিও ভারতের ক্যাবিনেট সচিবালয়ে সাবেক স্পেশাল সেক্রেটারি রানা ব্যানার্জি এই যুক্তি মোটেও বিশ্বাস করছেন না। মি ব্যানার্জির কথায়, "যদিও ইমরান বেশ ভালভাবেই জিতেছেন, এই জয়টা যে আর্মির সঙ্গে তার চুক্তি মোতাবেকই হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে আমি নিশ্চিত অন্তত পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রথম দিকে তিনি আর্মির শেখানো বুলিই বলবেন।" "হি উইল প্যারট দ্য আর্মি'জ পোজিশান। কাজেই পাকিস্তানের ভারত-নীতিতে চট করে কোনও পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করছি না।" ইমরান খানের দলের নির্বাচনী ব্যানার। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনা কিন্তু আবার পাকিস্তানে বেসামরিক সরকার ও আর্মির মতামত যদি একই হয়, সেক্ষেত্রে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিল করা ভারতের জন্য তো সুবিধাজনকও হতে পারে? ভারতের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মি ব্যানার্জি জবাবে বলছেন, "পাকিস্তানি আর্মি আবার সেটাও পছন্দ করে না যে সিভিলিয়ান লিডারের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা হোক। কারণ তারা চায় দেশের সিভিল সোসাইটির ওপর তাদের যে দাপট সেটা বজায় থাকুক!" "এখন আবার নতুন একটা ভাবনাও হাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ... পাকিস্তানি আর্মির সাবেক ব্রিগেডিয়ার ফিরোজ হাসান খান, যিনি এখন মার্কিন নাগরিক ও মন্টেরে-তে ইউএস ন্যাভাল স্কুলে পড়ান, তিনি হালে লিখেছেন পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সরাসরি আলোচনাটাই সম্পর্ক উত্তরণের একমাত্র রাস্তা!" বিষয়টা নিয়ে যে দুদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বেশ চর্চা হচ্ছে, তিনি সেটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি। ফলে ইমরান খানের জমানায় পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সরাসরি একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা হতে পারে, এই ইঙ্গিতও তাই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। কিন্তু ইমরান খানকে নিয়ে ভারত যে খুব আশাবাদী বা তিনি দুদেশের সম্পর্ককে রাতারাতি বদলানোর ক্ষমতা রাখেন বলে দিল্লি বিশ্বাস করে - বিষয়টা মোটেও সেরকম নয়!
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান ইসলামাবাদে ক্ষমতায় আসার ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে ঠিক কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে দুদেশের পর্যবেক্ষকরা যে একমত তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যয়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অতীতে সংগঠনটি যে ১৩-দফা দাবি তুলেছিল সেটি নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ১৩ দফার মধ্যে ইসলাম অবমাননা কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন, দেশে ভাস্কর্য স্থাপন নিষিদ্ধ এবং শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ২০১৬ সালে পাঠ্যবইয়ে ১৭টি বিষয় সংযোজন ও ১২টি বিষয় বাতিলের সুনির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করেছিল সংগঠনটি। ২০১৭ সালে নতুন পাঠ্যবই প্রকাশের পর দেখা গেছে এসব সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। হেফাজত এজন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ‌ও জানিয়েছে। ইসলামপন্থী এ সংগঠনের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বলেন, "রাজনীতিতে বলুন, সরকার পরিচালনায় বলুন সবসময়ই ছোটখাটো অনেকসময় আপোষ করতে হয় বৃহত্তর স্বার্থে। যেমন, এর আগে নারী নীতি নিয়ে কথা হয়েছিল তখন আমি নিজেই আলেম ওলামাদের সঙ্গে বসেছি, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি।" "তারপর শিক্ষানীতি নিয়ে যখন কথা হয়েছে তখন আমাদের সরকারের থেকে ক্যাবিনেটেই সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে যে, এই নীতিমালাগুলোতে এমন কিছুই থাকবে না যেটি শরিয়া পরিপন্থী, কোরান হাদিসের পরিপন্থী। আসলে থাকেও নি। তার ফলে বিষয়টিকে বলতে পারি ডিফিউজ করা হয়ে গেছে, না হলে এটা একটা খারাপ রূপ ধারণ করতে পারতো। ঐ সুযোগটি তো আমরা দেবো না।" এইচ.টি. ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে হেফাজতের দাবি এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তগুলো স্পর্শকাতর। হেফাজতের সঙ্গে দেশের অধিকাংশ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার কারণে সংগঠনটিকে সরকারের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয় কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মি. ইমাম বলেন, "দেখতে হবে যাতে এমন কোনো অবস্থানে তারা না যায় যাতে রাষ্ট্রীয় কাঠামোই বিপন্ন হয়। এরা তো দেশে কোনো কালেই হালে পানি পেতো না। এদের পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল।" "জামাত ইসলামের বড় নেতাদের, যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ফাঁসিও হলো। এই লোকজনদের এদেশে আনা হয়েছিল, পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল, পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু তাদের হাতে। এখনতো দেশের আপনি যেখানে যান রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।" এখন আদালত চত্বরে ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতের দাবিতে সরাসরি সমর্থন না জানালেও সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই এই ভাস্কর্য স্থাপন অপ্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করেন। বিষয়টিকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সরকার এবং আওয়ামী লীগের কেউ কোনো মন্তব্যও করছে না। পাঠ্যবইয়ে হেফাজতের দাবির প্রতিফলন এবং তাদের বিভিন্ন দাবির প্রতি সরকারের অবস্থান নিয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "যদি বিএনপি এই সমস্ত দাবি তুলতো বা বিএনপি যদি রাজপথে আসতো, তাদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি হতো, সেই দৃষ্টিভঙ্গি এদের প্রতি না। এদেরকে প্রশ্রয়ই দেয়া হচ্ছে। কেননা মনে করা হচ্ছে এরা সমর্থন করবে এবং এদের সমর্থনটা তাদের জন্য প্রয়োজন। এবং এরা শান্ত থাকলে সুবিধা, শান্ত না থাকলে এরা উগ্র হয়ে পড়বে।" সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মি. চৌধুরীর মতে, হেফাজতের দাবি অযৌক্তিক এবং বাংলাদেশের অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। "সরকার এদেরকে শান্ত রাখতে চাচ্ছে এবং আগামী নির্বাচন যখন হবে তখন তাদের ভোটগুলো যাতে তারা পায় এই তাদের আকাঙ্ক্ষা। দ্বিতীয় হচ্ছে মানুষের যে ইহজাগতিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা -- এগুলোকে আচ্ছাদন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো এগুলোকে উৎসাহিতও করবে যাতে করে মানুষ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে।" এদিকে, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের প্রতি ধর্মীয় কারণে সাধারণ মানুষের আবেগ এবং সমর্থন দেখা যায়। ২০১৩ সালের ঢাকায় ব্যাপক লোকসমাগম করে হেফাজত তাদের শক্তি-সামর্থ্য দেখানোর চেষ্টা করে। তবে ৫ই মে ঢাকায় অবস্থান নিলে তখন সরকার কঠোর অবস্থানে যায়। ভবিষ্যতে সরকার বিরোধীরা যেন সংগঠনটি কাজে লাগিয়ে ফায়দা নিতে না পারে সেজন্য সরকার সংগঠনটির সঙ্গে যে সতর্ক এবং সুসম্পর্ক রাখতে চায় সেটিও অনেকটা স্পষ্ট। এইচ. টি. ইমাম বলেন, "এই পাঠ্যপুস্তক কিংবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে এমন কোনো কিছু একটা সুযোগ দেব না, যাতে যে কোনো মহলই হোক এর পক্ষে-বিপক্ষে কেউই সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিতে পারে।" এদিকে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামপন্থী এ সংগঠনের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ইসলামী চিন্তাধারা থেকে অতীতে তারা সরকারের কাছে যেভাবে দাবি তুলে ধরেছেন ভবিষ্যতেও তারা এটি চালিয়ে যাবেন। তাদের বিশ্বাস সরকার উপলব্ধি থেকেই তাদের দাবি মেনে নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও মানবে। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "এটা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হবে যদি এদেরকে প্রশ্রয় দেয়া হয়। কেননা এটা বাড়বে।" শাপলা চত্বরে হেফাজত সমাবেশ
বাংলাদেশে নাস্তিকতা, নারী নীতি ও শিক্ষা নীতি-বিরোধী আন্দোলনের পর এবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তুলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে হেফাজতে ইসলাম।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঐ প্রস্তাব দেয়া হয়। ইয়াঙ্গুনে কর্তব্যরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে দেখা করে একই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেছেন, "বাংলাদেশ চাইছে যে দ্রুত সময়ে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক। এজন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সেসব পদক্ষেপ নিয়েছে।" "মিয়ানমার সরকারকেও আমরা অফিসিয়ালি জানিয়েছি যে যদি ঐ এলাকায় কোন সন্ত্রাসী থেকে থাকে, তাহলে প্রয়োজন হলে আমরা একসাথে কাজ করে সেই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে প্রস্তুত আছি।" কিন্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, সেখানে মানবিক সাহায্যের প্রশ্ন আসছে। সীমান্ত অতিক্রম করে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের দিকে এগিয়ে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। আরো দেখুন: এই ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিব বেশ কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "বাংলাদেশ দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের যে ভূমিকা রাখার কথা, বাংলাদেশ সেই ভূমিকা রাখবে।" কিন্তু বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে কি-না, সেই প্রশ্নে সরাসরি কোন জবাব মেলেনি। শহিদুল হক বলেন, "বিষয়টা ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিন।" জাতিসংঘ থেকেও এখন আহবান আসছে যে বাংলাদেশ যেন সীমান্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়। সেই পটভূমিতে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মিয়ানমারের উপরই চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে তারা মনে করেন। এদিকে, হাজার হাজার রোহিঙ্গা যে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে বা জিরোলাইনে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় বাধা দিচ্ছে। তবে রক্ষীরা সীমান্তের জিরোলাইনে তাদের অবস্থান করতে বাধা দিচ্ছে না। সীমান্ত পেরিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে এসে পৌঁছেছে এই রোহিঙ্গা পরিবার। বিজিবির কক্সবাজার অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার লে: কর্নেল আনোয়ারুল আজিম বলছিলেন, "জিরোলাইন ক্রস করে কোন রোহিঙ্গাকে আমরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেব না। তবে জিরো-লাইনে যারা এসেছে, তারা আমাদের বলেছে যে, মিয়ানমারে পরিস্থিতি যদি একটু শান্ত হয়, ওরা যদি তাদের গ্রহণ করে, তাহলে তারা চলে যাবে।" "আমরা তো মিয়ানমারের মতো গুলি করতে পারছি না। আমরা মানবিক কারণে যতটুকু মানবিক সাহায্য দেয়া দরকার, তা করছি।" বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, সীমান্তের জিরোলাইনে আসার পর রোহিঙ্গা মহিলাদের অনেকে সেখানে বাচ্চাও প্রসব করছে। খাবার নেই, পানি নেই। বেশ খারাপ অবস্থা। তাই মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের জিরোলাইনে থাকতে বাধা দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা মিয়ানমার সরকারের কাছে সীমান্তে জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর প্রস্তাব দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নতুন মামলাটি দায়ের করেছেন বাবুল আক্তারের সাবেক শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। এরপর ওই মামলায়ই প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতে হাজির করে বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। মামলার পর মি. হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ''টাকার বিনিময়ে খুনীদের দিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করিয়েছিল বাবুল আক্তার। পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করার পর সেসব বিষয় বেরিয়ে এসেছে। তাই তাকেসহ আটজনকে আসামী করে আমি আজ হত্যা মামলা দায়ের করেছি।'' এর আগে পাঁচ বছর আগে বাবুল আক্তারের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। মামলা দায়েরের আগে বুধবার সকালে মামলাটির এখনকার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ''তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা আছে বলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। আমরা সেরকমই সন্দেহ করছি। '' চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলার পর বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিবিআই। মামলা সম্পর্কে যা বলছেন মিতুর বাবা বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন মাহমুদা খাতুন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এরপর থানায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ''বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই হত্যার সে পরিকল্পনাকারী এবং অন্য সাতজন আসামীকে সমন্বয় করে সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে।'' হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে মি. হোসেন বলছেন, ''বাবুল আক্তার কক্সবাজারে থাকার সময় একজন এনজিও কর্মীর সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয়। এটা মিতুর নলেজে আসে। সে সেটায় বাধা দেয়। সেই বাধা দেয়ার কারণে পরবর্তীকালে একপর্যায়ে বাবুল আক্তার তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে।'' মৃত্যুর আগে প্রেম নিয়ে এই পারিবারিক জটিলতার কথা মিতু তাদের জানিয়েছিল বলে মি. হোসেন বলেন। তবে এই ব্যাপারে পুলিশ বা বাবুল আক্তারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেন বাবুল আক্তারের দিকে সন্দেহের তীর? পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলছেন, মামলার তদন্তে বাবুল আক্তারের আচরণ এবং অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় তাদের সন্দেহ তৈরি হয়। বাবুল আক্তারের ওপর সন্দেহের কারণ হিসাবে পিবিআই প্রধান বলেন, ''কামরুল শিকদার মুসাকে বাবুল আক্তার চিনতেন। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজে তাকে পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। কিন্তু তাকে তিনি শনাক্ত করেননি কেন? কেন তিনি আরেকজনের দিকে (জঙ্গিদের দায়ী করে) দায় দিলেন?'' ''এটা দেখার পর তার দিকে আমাদের সন্দেহ তীব্র হয়। কারণ মুসাকে তিনি খুব ভালো ভাবে চিনতেন, তার সঙ্গে যোগাযোগও ছিল। তাহলে তিনি অস্বীকার করলেন কেন?'' তিনি জানান, বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম অফিসে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। এই ঘটনায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা জানিয়ে তার দুইজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি সাক্ষ্যও দিয়েছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। তাদের একজন বাবুল আক্তারের একজন বন্ধু। তারা এই ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। ''তারা ওই ঘটনার বিষয়ে জানেন, কীভাবে টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে, কোথা থেকে টাকা এসেছে। তারা তখন জানতেন না যে, এই টাকা মার্ডারে ব্যবহার করা হবে। তবে পরবর্তীতে তারা জেনেছেন,'' বলছেন বনজ কুমার মজুমদার। কী কারণে মিতু আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ''এখনও আসামী হিসাবে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। যখন তাকে আসামী হিসাবে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তখন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। '' বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী থেকে মামলার আসামী বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, বাবুল আক্তার এখনও এই মামলার বাদী, মামলার ডকেটে কোথাও তিনি নেই। আইন অনুযায়ী, তাকে আসামী করার সুযোগ নেই। তাই পিবিআই এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বুধবার চট্টগ্রামের আদালতে জমা দিচ্ছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। এরপরই পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ভিকটিম মাহমুদা খাতুন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিবিআই। পিবিআই প্রধান জানান, বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি পিবিআইয়ের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে যে পিবিআইয়ের আর তো ব্যাক করার সুযোগ নেই। তখন তারা বলেছেন, তদন্ত যা আসবে, তাই হবে। এরপর তারা বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। বাবুল আক্তারকে সোমবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। যা ঘটেছিল চট্টগ্রাম নগরীতে ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকালে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদা খাতুন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয়। তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হওয়ায় সে সময় এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। বাবুল আক্তার এর আগে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে একটি পদোন্নতি পেয়ে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। ঘটনার পর মামলা করেছিলেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই। বাবুল আক্তার অভিযোগ করেছিলেন যে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, কারণ তিনি জঙ্গি বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মি. আক্তারকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং ঘটনার মাস তিনেক পর তাকে পুলিশ বিভাগের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০২০ সালে এ মামলার তদন্ত গোয়েন্দা বিভাগ থেকে পিবিআই-এর হাতে দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে শুরু থেকেই এক ধরনের রহস্য ছিল। মাহমুদা খাতুন মিতুর বাবা বেশ কিছুদিন যাবত মেয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য জামাতা বাবুল আক্তারই দায়ী বলে দাবি করে আসছিলেন। সেই সময় একজন এসপিকে স্ত্রী হত্যা সম্পর্কিত বিষয়ে 'জিজ্ঞাসাবাদ' করা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, যিনি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের জানান যে সন্দেহভাজনদের মুখোমুখি করতে তাকে গোয়েন্দা দপ্তরে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু সংবাদমাধ্যম স্ত্রী হত্যার সঙ্গে স্বয়ং বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে খবর প্রকাশ করে। চট্টগ্রামের পুলিশ বলছে, মিতু হত্যায় সাত-আট জন অংশ নিয়েছিল। পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা মনে করেন, তদন্তকারীদের এখন খুঁজে বের করতে হবে ঘটনার পেছনে কে রয়েছে, কারণ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো - কারা এদের ভাড়া করেছিল। আর যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জবানবন্দীতে তারা কাদের নাম বলেছে, আর যাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, গ্রেফতার হলে তারা কাদের নাম বলবে - ওই কর্মকর্তা মনে করছেন যে এ সবই হবে এই হত্যা রহস্য উন্মোচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: চীনা উপহারের টিকা বাংলাদেশে - কারা পাবেন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন? কেন হঠাৎ করেই তেতে উঠেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত চীনা রকেটের পৃথিবীতে পড়া নিয়ে কেন এত তোলপাড় সাজাভোগের মধ্যেই যেভাবে বিদেশে গিয়েছিলেন আ স ম রব
বাংলাদেশে চট্টগ্রাম শহরে পাঁচ বছর আগের মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নাটকীয় মোড় নেয়ার পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন যাচাই করে কোন তথ্য অসত্য পাওয়া গেলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশে এখন নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থীদের সাত ধরণের তথ্য দিতে হয় যাতে মামলা, ব্যবসা বা পেশা, প্রার্থী ও তার উপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস, সম্পদ ও দায়ের বিবরণী, ঋণ ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হয়। এসব তথ্য জনসম্মুখে প্রচারেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরাও তাদের হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন। তবে তাদের কিছু তথ্য ইতোমধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ ভাবে আলোচনায় এসেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের দেয়া তথ্য নিয়ে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এ ব্যবসায়ী তার হলফনামায় তার বাড়ী ও গাড়ির তথ্যের স্থানটি শূন্য রেখেছেন যাতে মনে হয় যে তার গাড়ী বা বাড়ী নেই। বাড়ী-গাড়ী নেই আনিসুল হকের মিস্টার হক বিবিসিকে বলেছেন তিনি সম্পূর্ণ সত্য তথ্যই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বাড়ী আছে কিন্তু আমি সন্তানদের নামে লিখে দিয়েছি। আমার কোম্পানির অনেক গাড়ী সেগুলোই আমি ব্যবহার করি। আমার ব্যক্তিগত গাড়ী নেই। নির্বাচন কমিশনের প্রেসক্রিপশনে কোম্পানির ঋণের বিষয়টি থাকলেও সম্পদ সম্পর্কে লেখার জায়গা নেই। ফলে আমার স্টেটমেন্ট কোন ফাঁকি নেই”। একটি সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে আনিসুল হকের আরও বিশজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বাংলাদেশের আরেকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল। প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে আবদুল আউয়াল মিন্টুর নির্বাচন কমিশন আজই আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করলেও বহাল রয়েছে তার ছেলের প্রার্থিতা। মি মিন্টুর নামে মামলা থাকায় কথা বলতে পারবেননা বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা। তবে তার ছেলে তাবিথ আউয়াল বিবিসিকে জানিয়েছেন হলফনামায় তারা দুজনই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঠিক তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কর দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে সব তথ্য দেই তার সাথে সম্পর্ক রেখেই হলফনামায় সব তথ্য দিয়েছি আমরা”। তার বাবা ও মায়ের নামে বাড়ীর মূল্য হলফনামায় কম দেখানো হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “ এতে বাড়ি ক্রয় করার সময়কার মূল্য দেখানো হয়েছে”। আনিসুল হক ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু দুজনই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে হলফনামায় তাদের সম্পদ বা আয়ের উৎস বা ঋণের বিষয়গুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে গণমাধ্যমে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ২৬জন। এর মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাইদ খোকন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম। তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যবসা থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ই তাদের প্রধান পরিচয়। আর সে কারণেই হলফনামায় তাদের দেয়া তথ্যের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে মামলার প্রসঙ্গ নিয়েই। মীর্জা আব্বাসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ মূহুর্তে তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে। তিনটি মামলা রয়েছে মি সালামের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাইদ খোকনের নামে আগে পাঁচটি মামলা থাকলেও সেগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পাওয়ায় আপাতত তিনি মামলা-মুক্ত। প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে হলফনামায় দেয়া তথ্য যাচাই করা বা কোন ভুল তথ্য পেলে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের রয়েছে কিনা- এ পশ্নে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, ভুল তথ্যে প্রার্থিতা বাতিল পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, “সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই সেগুলো ওয়েবসাইটে তুলে দেয়া হয়েছে। যে কেউ দেখে আমাদের জানাতে পারে। কেউ ভুল তথ্য দিলে মামলা হতে পারে, এমনকি তিনি প্রার্থী হলে তার প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে”। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে সময় কয়েকজন প্রার্থীর হলফনামায় দেয়ার তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলো।
বাংলাদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্রের সাথে হলফনামায় সম্পদের বিবরণ সহ যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশী পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য ট্রানজিট সুবিধা চেয়ে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ১৯৭৬ সালে যে ট্রানজিট চুক্তি হয়েছিলো তাতে কিছুটা সংশোধনী এনে গত বছরের অগাস্টে রেলপথে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলো বাংলাদেশ। সে অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা তৈরি হওয়ার কথা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ২৭ হাজার টন সার রপ্তানির জন্য ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। সামনে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার একই পথে নেপালে যাবে। অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সাথে এ যোগাযোগ নিয়মিত হলে বাংলাদেশের মংলা, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরের ব্যবহার বিস্তৃত হতো। তিনি বলেন, "নিয়মিতভাবে ভারতীয় ভূমি ব্যবহার করে ভুটান ও নেপালে বাণিজ্যের জন্য একটা চুক্তি কিন্তু হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়মিত হলেই তা বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হবে। আবার তারাও বাংলাদেশের পোর্টগুলো ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে পারবে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? ট্রানজিট ইস্যুতে উত্তাপ কোথায় হারালো? চট্টগ্রামে আসছে ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান, বেশি গুরুত্ব পাবে ভারতীয় পণ্য? সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া যেভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির প্রথম ভারতীয় পণ্যের চালান নিয়ে আসা জাহাজ গত জুলাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ ভারতকে প্রায় সব ক্ষেত্রে ট্রানজিট সুবিধা দিলেও ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী যানবাহনের নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট সুবিধা নিয়মিত হয়নি। এবার নেপালে সার রপ্তানির ট্রানজিট দিয়ে ভারতীয় পক্ষ বলছে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে মোটর চলাচল বা বিবিআইএন সংযোগ এবং উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হিসেবে নেপালে সার রপ্তানির জন্য ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে তারা। কিন্তু এভাবে বিশেষ অনুমতির বদলে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে কবে ভুটান ও নেপালে পণ্য পরিবহনের সুবিধা পাবে সেটি এখনও বড় প্রশ্ন। গবেষক ও অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ এ জন্য দায়ী করছেন বাংলাদেশের প্রস্তুতির অভাব ও ভারতের বড় ভাই সুলভ আচরণকেই। তিনি বলেন, "ভারতের বড়ভাই সুলভ আচরণের পাশাপাশি আমাদেরও প্রস্তুতির অভাব ছিলো যা এখন পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতার একটি বিষয় আছে। এখন সেভেন সিস্টার্সকে ঘিরে খুব প্রস্তুতি নিয়ে কস্ট বেনিফিট পর্যালোচনা করে নেগোসিয়েশন নিয়মিত রাখতে পারলে ট্রানজিট সুবিধা নিয়মিত পাওয়া যেতে পারে"। নেপালের পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বন্দর ব্যবহার করতে হয় যা বাংলাদেশকে ট্রানজিট না দেয়ার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন অনেক অর্থনীতিবিদ। অথচ ভারতকে ট্রানজিট বিষয়ে প্রায় সব সুবিধাই দিয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় ভারতীয় জাহাজ চট্টগ্রামে আসার পর তাদের আনা পণ্য চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া ও আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও আসামে গেছে গত জুলাইয়ে। কাজ চলছে মংলা বন্দর ব্যবহার নিয়েও। হুগলী নদীর তীরে কলকাতা বন্দর কিন্তু বাংলাদেশ কেন নিয়মিতভাবে ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন কিছু বিষয়ে বিলম্ব হলেও দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চমৎকার থাকায় সব বাধাই ধীরে ধীরে কেটে যাবে বলে আশা করছেন তারা। "তিস্তার বিষয়টিই দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় সব চূড়ান্ত কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার প্রধান বেঁকে বসলেন। এমন তাদের যে প্রদেশগুলো সেখানে বিভিন্ন সরকার ও তাদের নানা ইস্যু থাকে যা অনেক সময় বাধা হয়ে দাড়ায়। এখন কিন্তু আস্তে আস্তে এসব সমস্যা কেটে যাচ্ছে"। মিস্টার চৌধুরী বলছেন বাংলাদেশ যে সুবিধা দিচ্ছে সেটার বিনিময়ে বাংলাদেশকেও নানাভাবে সহায়তা করছে ভারত। "মংলা বন্দরের জন্য অর্থ সহযোগিতা দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি আছে। পায়রাতে আছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথ সহ অন্য ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও ভারতের ভূমিকা আছে," বলছিলেন তিনি। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলছেন বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য পরিবহনে ভারতও এখন যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে খুব শিগগিরই আরও অগ্রগতি হবে আশা করছেন তারা।
ভারতীয় রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ২৭ হাজার টন সার রপ্তানির জন্য ট্রানজিট সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ এবং ইতোমধ্যেই সার বোঝাই ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ইউনিসেফের হিসাবে, বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশে জন্ম নেবে সাড়ে আটহাজার শিশু এ বিষয়ে কোন গবেষণা নেই। তবে বিভিন্ন জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে দেখা গেছে জানুয়ারির এক তারিখের প্রাধান্য রয়েছে। শিশুদের নিয়ে কাজ করেন,এমন বিশেষজ্ঞরাও এই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলছেন, ''বিষয়টি এমন না যে, জানুয়ারির এক তারিখে বেশিরভাগ শিশুর জন্ম হচ্ছে। আসলে এখনো আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিশুদের জন্ম হয় বাড়ীতে, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকায় থাকে। সেখানে এখনো শিক্ষার হারটা ততটা ভালো না। ফলে অভিভাবকরাও জন্ম নিবন্ধনের ব্যাপারে ততটা সতর্ক নন।'' ''আবার আমাদের জন্ম নিবন্ধনও সঠিকভাবে সঠিক তারিখে হয়না। বাড়িতে বা হাসপাতালে জন্ম নেয়া শিশুদেরও ঠিকভাবে নিবন্ধন হচ্ছে না। পরবর্তী একসময় যখন তারা স্কুলে ভর্তি হয় বা কোন সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময় তার জন্ম তারিখটা দরকার হয়ে পড়ে।'' ''তখন অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকরা ইচ্ছেমত একটি তারিখ বসিয়ে দেন। নতুন করে জন্মদিন বসাতে গিয়ে তারা একটি কমন তারিখে জন্মদিন বসিয়ে দেন, যা সহজে মনে রাখা যায়। দেখা যায়, বেশিরভাগ সময়েই সেটা জানুয়ারির এক তারিখ হয়ে থাকে।'' বলছেন মি. মান্নান। তিনি বলেন, এ কারণে দেখা যায় এখানে এটা খুবই কমন যে, বেশিরভাগ মানুষের দুইটা করে জন্মদিন থাকে। আরো পড়ুন: মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশু বেশি জন্মায় কেন? বাচ্চার মৃত্যুর কারণ কি আত্মীয়ের সাথে আমার বিয়ে? জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? ইউনিসেফের হিসাবে, বছরের প্রথম দিনে পৃথিবী জুড়ে জন্ম হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি শিশুর এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলার কথা হয় তৌফিক রহমানের (ছদ্মনাম) সঙ্গে, যার নিজের এবং আরো দুজন চাচাতো ভাইয়ের জন্ম তারিখ ১লা জানুয়ারি। তিনি বলছেন, অনেকগুলো ভাইবোনের পরিবারে কারো জন্মতারিখই বাবা-মা লিখে রাখেননি। ফলে স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা তারিখটি বসিয়ে দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানেও এই প্রবণতা রয়েছে। তবে শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলছেন, অনেকের জন্মতারিখ বানিয়ে দেয়া হলেও, এই তারিখেও কিন্তু সত্যিকারে বাংলাদেশে অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে, যাদের জন্মদিন আসলেই ১লা জানুয়ারি। বছরের প্রথমদিনে বাংলাদেশে জন্ম হচ্ছে সাড়ে ৮ হাজার শিশুর বছরের প্রথম দিনে সবাই যে নতুন বছরকেই স্বাগত জানাচ্ছে তা নয়, অনেক পরিবার এদিন স্বাগত জানাতে তাদের নতুন ক্ষুদ্রতম সদস্যকেও। নতুন বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশে ৮ হাজার ৪২৮টি শিশুর জন্ম হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আর এদিন পৃথিবী জুড়ে জন্ম হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি শিশুর। ২০১৯ সালের প্রথম শিশুটির দেখা পেয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ ফিজি। ইউনিসেফের হিসাবে, প্রথম দিনে জন্ম নেয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর এদিনের মোট শিশুদের অর্ধেক জন্ম নেবে নীচের আটটি দেশে: এই শিশুদের অনেকের নানারকম নাম দেওয়া হবে আবার অনেকে হয়তো নাম পাওয়ার আগেই মারা যেতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন সংসদ সদস্যরা বিএনপির প্রাপ্ত ভোট চমকে দিয়েছে অনেককে যেভাবে বিবিসির চোখে পড়লো ভোটের আগেই পূর্ণ ব্যালটবক্স ইয়েস স্যারের বদলে 'জয় হিন্দ' আর 'জয় ভারত'
বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্টের জন্ম তারিখ যাচাই করলে দেখা যাবে, বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষের জন্ম তারিখ পহেলা জানুয়ারি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশের পতাকা। বিবিসি বাংলার সাথে আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনও "বাংলাদেশ" শব্দের উৎপত্তিগত ব্যাখ্যা দেন। যেখানে "বাংলা" শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত শব্দ "বঙ্গ" থেকে। আর্যরা "বঙ্গ" বলে এই অঞ্চলকে অভিহিত করতো বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। তবে বঙ্গে বসবাসকারী মুসলমানরা এই "বঙ্গ" শব্দটির সঙ্গে ফার্সি "আল" প্রত্যয় যোগ করে। এতে নাম দাঁড়ায় "বাঙাল" বা "বাঙ্গালাহ্"। "আল" বলতে জমির বিভক্তি বা নদীর ওপর বাঁধ দেয়াকে বোঝাতো। ইতিহাসবিদ আবুল ফজলের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, "মুসলমান শাসনামলে বিশেষ করে ১৩৩৬ থেকে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে এবং ১৫৭৬ সালে মোঘলরা বাংলা দখল করার পরে এই অঞ্চলটি বাঙাল বা বাঙালাহ নামেই পরিচিতি পায়।" তবে বাংলা, বাঙাল বা দেশ - এই তিনটি শব্দই ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। কোনটিই বাংলা শব্দ নয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজারা দখলদারিত্বের সময় এই বাংলাকে বিভিন্ন নাম দেন। শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলাও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসামের মতো কয়েকটি প্রেসিডেন্সি নিয়ে নাম দিয়েছিলেন "বঙ্গ"। আরো পড়ুন: আত্মসমর্পণের আগে পাকিস্তানী সেনাদের মুহূর্তগুলো বাংলাদেশ যুদ্ধ জয়ের কৃতিত্ব নিয়ে পাল্টা-পাল্টি দাবী বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো মুক্তিযুদ্ধ কেন বড় ফ্যাক্টর? এই ছবি দেখেই কি আত্মসমর্পণ করেছিলেন নিয়াজী? মুক্তিযুদ্ধে কী ছিল ভারতীয় সেনার সামরিক কৌশল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ব্রিটিশ শাসনামলে এই অঞ্চলের নাম হয় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি। এরপর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় গোটা বাংলায় একটা প্রশাসনিক বিভাজন হয়। বাংলার পশ্চিম অংশ হয়ে যায় পশ্চিম বঙ্গ এবং পূর্ব অংশ হয়ে যায় পূর্ব বাংলা। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর ১৯৪৭ সালে বঙ্গ-প্রদেশ ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হল। সে সময় পাকিস্তানিরা পূর্ব বাংলার নাম দিতে চাইলো পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু এ নিয়ে সেই সময় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা। এরপর ১৯৫৭ সালে করাচীতে পাকিস্তানের গণপরিষদের তরুণ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতা দেয়ার সময় "পূর্ব পাকিস্তান" নামটির প্রতিবাদ করে বলেন যে, পূর্ব বাংলা নামের একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। "আর যদি পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতেই হয়, তাহলে বাংলার মানুষের জনমত যাচাই করতে হবে। তারা নামের এই পরিবর্তন মেনে নিবে কিনা - সেজন্য গণভোট নিতে হবে।" তারপর ১৯৬২ সালে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে নিউক্লিয়াস নামে ছাত্রলীগের একটি গোপন সংগঠন প্রতিষ্ঠা পায়। যারা স্বাধীনতার পক্ষে চিন্তাভাবনা করতো। তারা এই অঞ্চলকে বলতেন স্বাধীন পূর্ব বাংলা। বাংলাদেশের পতাকা। এরপর আসে ১৯৬৯ সাল। শুরু হয় আইয়ূব পতন আন্দোলন। সেসময় গণঅভ্যুত্থানে স্লোগান দেয়া হয় "বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।" ইতিহাস অনুযায়ী, ওই প্রথম পূর্ব বাংলাকে "বাংলাদেশ" নামে অভিহিত করা হয়। পরে ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, "আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ"। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করেন। পরে শেখ মুজিবুর রহমান "বাংলাদেশ" নামটি প্রস্তাব করলে তাতে সবাই একবাক্যে সায় দেন। এই নাম দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ১৯৫২ সালে সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলা ভাষা থেকে "বাংলা", এরপর স্বাধীন দেশের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে দেশ। এই দুটো ইতিহাস ও সংগ্রামকে এক করে "বাংলাদেশ" নামকরণ করা হয়। এরপরও নথিপত্র-গুলোয় পূর্ব পাকিস্তান লিখতে হলেও কেউ মুখে পূর্ব পাকিস্তান উচ্চারণ করতেন না। সবাই বলতেন বাংলাদেশ। সেই থেকে এই দেশকে আর কেউ পূর্ব পাকিস্তান বলেনি। সবাই বাংলাদেশ হিসেবেই মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছিল বলে জানান ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। লাল সবুজ পতাকা ফুটে উঠছে ক্যানভাসে। তারপর মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার যে ঘোষণা প্রচার করে - তাতেও বলা হয় এই দেশটির নাম হল "বাংলাদেশ"। এরপর ১৯৭২ এর চৌঠা নভেম্বর যখন প্রথম সংবিধান প্রণীত ও গৃহীত হয় সেই সময়ও দেশটির সাংবিধানিক নাম দেয়া হয় "বাংলাদেশ"। এছাড়া উনিশ শতকের সাহিত্যে অবিভক্ত বাংলাকে "বঙ্গদেশ" বা "বাংলাদেশ" বলা হতো। বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যে "বঙ্গদেশ" শব্দের উল্লেখ আছে। কাজী নজরুল ইসলাম তিরিশের দশকে তার কবিতায় "বাংলাদেশ" নামটি ব্যবহার করেছেন। আবার সত্যজিতের চলচ্চিত্রেও উচ্চরিত হয়েছে "বাংলাদেশ" নামটি। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাকে আখ্যায়িত করেছেন "সোনার বাংলা" বলে আর জীবনানন্দ দাস বলেছেন "রূপসী বাংলা"।
এই দেশের নাম বাংলাদেশ রাখার পেছনে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। কীভাবে এই দেশের নাম বাংলাদেশ রাখা হল - এ বিষয়টিকে ইতিহাসের কয়েকটি পরিক্রমায় ভাগ করে বিশ্লেষণ করেন ইতিহাসবিদরা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বছরের শুরুতে শিশুরা নতুন বই পেলেও বেশি দিন স্কুলে যাবার সুযোগ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে বলেছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। দীর্ঘ সময় এই অস্বাভাবিক বিরতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি তারা মানসিকভাবে ভালো নেই। অভিভাবক এবং বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশু শিক্ষার্থীদের উপর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সময়টিতে পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সামাজিকতাও শিখে। এক্ষেত্রে স্কুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষক এবং অভিভাবকরা। লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সানাউল্লাহ সানুর দুই সন্তান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন দ্বিতীয় এবং অন্যজন তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। মি: সানু বলেন, তার সন্তানরা এখন লেখাপড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। "স্কুলে পড়ালেখা না হলে বাচ্চারা বাসায় পড়তে চায়না," বলছিলেন মি: সানু। তিনি বলেন, তার শিশু সন্তানরা নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে যাওয়া, সেখান থেকে ফিরে আসা এবং বাসায় পড়তে বসার বিষয়গুলো নিয়মিত রুটিনের মতো ছিল। "এখন তাদের রুটিন বলতে আর কিছু নাই। স্কুল ছিল ওদের আনন্দের জায়গা। সেখানে ওরা খেলাধুলা করতো। সবচেয়ে বেশি শিখতো সামাজিকতা," বলছিলেন মি: সানু। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় বাসায় বন্দি শহরের শিক্ষার্থীরা। যশোরের শার্শা উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন ফেরদৌসি রহমান। তিনিও বললেন, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক বিকাশের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেন করোনাভাইরাসে বেশি মারা যাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়রা মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা এক বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা স্কুলের আঙিনা সামাজিকতা শেখার অন্যতম জায়গা। তিনি বলেন, তাদের স্কুলে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন থাকে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা সেসব বিষয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিনি উল্লেখ করেন। "আমাদের স্কুলে একটি বাগান আছে। কিভাবে বাগানের যত্ন নিতে হয় সেটাও শিশুদের শেখানো হয়," বলেন ফেরদৌসি রহমান। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করে গণস্বাক্ষরতা অভিযান। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে শিক্ষার্থীদের বড় প্রত্যাশার জায়গা থাকে খেলাধুলা এবং বন্ধু মহল। "অনেক শিশু প্রথমে স্কুলে যেতে চায়না। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে যখন তাদের বন্ধু তৈরি হয় তখন সে জায়গাটি তাদের জন্য আনন্দময় হয়ে উঠে," বলেন রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, যে বয়সটিতে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে, সে সময় তাদের সামাজিকতা শেখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। স্কুলে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে মেলামেশা, নানা ধরণের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সমাজের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে। "স্কুলের মাঠ তাদের অতি প্রিয়। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের। খোলা বাতাসে ঘরের বাইরে আনন্দটা তারা মিস করে," বলেন রাশেদা কে চৌধুরী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সবার আগে যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। তখন থেকেই প্রায় দুই মাস যাবত স্কুল বন্ধ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে উপকূলের পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত নেয়া সম্ভব হয়েছে ১২ লাখ মানুষকে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব সারারাত ধরেই বাংলাদেশের ওপর থাকবে। সাইক্লোন ফণী উড়িষ্যায় আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে দেশের দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলার লালুয়া ইউনিয়নের অবস্থান সমুদ্রের তীর ঘেঁষে। সেখানে বাধ আগে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় জোয়ারের চাপে পানি ঢুকে ঐ ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাউন্সিলর খাদেজা বেগম বলছিলেন, গ্রামে পানি ওঠায় নৌকায় করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। অনেকে নিজেদের উদ্যোগে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। বাগেরহাটেরও কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা অনেকের দক্ষিণ পশ্চিমের সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে গাবুরা ইউনিয়নকে। এই ইউনিয়নের তিন পাশে সুন্দরবন এবং অন্যদিকে নদী। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, তার ইউনিয়নে ৪২ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আড়াই হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। "আমাদের এলাকায় মানুষ একেবারে খারাপ অবস্থা না হলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। বিকেলের পরে কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে।" ফণী নিয়ে কতটা আতঙ্কের কারণ রয়েছে বাংলাদেশে বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ৫টি ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় ফণী: উড়িষ্যায় ব্যাপক তাণ্ডব, লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী সারারাত বাংলাদেশের ওপর থাকবে, মংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বরিশাল, ভোলা এবং বরগুনাতেও মানুষের মাঝে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার আগ্রহ কম। বরিশাল থেকে সাংবাদিক শাহিনা আজমিন বলেন, বরিশাল অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলো থেকে জোর করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। "অনেক জায়গায় লোকজনকে পুলিশ দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় ঝড় আঘাত হানতে পারে, এই ভয়ে বিকেল থেকে অনেক মানুষ নিজেরাই আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে।" আরও পড়ুন: ফণী এখন উড়িষ্যা অতিক্রমের পর রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে? যে কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় লোকজন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে একই চিত্র পাওয়া যাচ্ছে যে, মানুষ বাড়ি ঘর ফেলে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি তবে এসব জেলায় গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসন থেকে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। আশ্রয় কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ: শাহ কামাল বলেন, ঝড়ের আগে এবং পরের পরিস্থিতির জন্য যথাযথ প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। "অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, সাধারণত আমরা ২১/ ২২লাখ মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসি। কিন্তু এবার ঝড়টি উড়িষ্যায় আঘাত হানার পর দুর্বল হয়েছে, এটা হয়তো সবাই ধারণা করছে। সেজন্য এপর্যন্ত ১২ লাখের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছে।" সকল মাছধরা জেলে নৌকাকে সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। "সামগ্রিকভাবে উপকূলের সব জেলায় রাজনীতিক, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ সমন্বিত-ভাবে প্রস্তুতির কাজগুলো করছে। ঝড়ের পরে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য জরুরী ত্রাণ এবং মেডিকেল সহায়তাসহ সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।" আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, ফণীর প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। এটি উড়িষ্যায় আঘাত হেনে ভূমিতে উঠে যাওয়ার কারণে কিছুটা দুর্বল হতে পারে। প্রথম আঘাতের সময় এর গতিবেগ ২১০কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল। সেটা বাংলাদেশে এসে হয়তো ১০০কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মধ্যরাতে বাংলাদেশে আসার পর বাাকি রাত বাংলাদেশের ওপর থাকবে। "ঘূর্ণিঝড়টি তো বিশাল আকৃতির। এর অগ্রভাগ থেকে বিভিন্ন ধরণের মেঘ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে। আর এই মেঘ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে।" "রাতে সারা বাংলাদেশ এই ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় এসে যাবে। এটি খুলনা, সাতক্ষীরা দিয়ে অতিক্রম করবে। দেশের উত্তরাঞ্চলের দিকেও যাচ্ছে। উত্তরে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী-এসব অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ঘটাবে। ভারী বর্ষণ ঘটিয়ে এটি আবার ভারতের মেঘালয়ের দিকে যাবে।" আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার সারাদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে।
ঢাকায় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব বাংলাদেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সে কারণে সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
চকবাজারের অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া একটি ভবন কিন্তু আগেকার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে অনেকেই বলছেন, এখন এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন পরই বিষয়টি হয়তো আর আলোচনায় থাকবে না, গুদামগুলো সরিয়ে নেবার প্রক্রিয়াও যাবে থেমে - ঠিক যেমনটা আগে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১০ সালে নিমতলী অগ্নিকান্ডের পর রাসায়নিক কারখানাগুলো সরিয়ে নেবার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা রাজি না হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। অবশ্য ব্যবসায়ীরা এ কথা স্বীকার করেন না। তারা বলেন, তারা পুরোনো ঢাকা থেকে সরে যেতে রাজি আছেন। পরিবেশকর্মীরা বলেন, আসলে সরকারই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন - বুধবার তাদের দেখতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেমিক্যাল গুদামের জন্য ঢাকার পাশেই কেরানীগঞ্জে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: 'জীবনকে তুচ্ছ করে ব্যবসাকে প্রাধান্য দিলে এমনটা ঘটবেই" ঐক্য জোটের গণশুনানি থেকে কী আশা করেছিলেন বিরোধী নেতারা? শামীমার নাগরিকত্ব নিয়ে আইন কী বলছে? "সেখানে (কেরানীগঞ্জে) আমরা খুব আধুনিক গোডাউন তৈরি করে দিতে চাচ্ছিলাম, বহুতল ভবন করে, যেখানে কেমিক্যালগুলি সুরক্ষিত থাকবে। যেহেতু মালিকরা রাজী হন নাই, যার জন্য ওটা আর কার্যকর করা যায় নাই" - বলেন প্রধানমন্ত্রী। পুরনো ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে দেখা গেল, যেসব বাড়ির মালিক কেমিক্যাল কিংবা নানা দাহ্য পদার্থের গুদাম বা দোকান ভাড়া দিয়েছেন, তাদের অনেকেই সে বাড়িতে থাকেন না। সুতরাং সে বাড়ি থেকে যত বেশি সম্ভব ভাড়ার টাকা তুলে আনাটাই তাদের লক্ষ্য থাকে। এ নিয়ে স্থানীয় বাড়ির মালিকদের মধ্যেও নানা ধরণের দ্বন্দ্ব আছে। স্থানীয় এক বাড়ির মালিকের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার শীলা বিষয়গুলো নিয়ে নিজের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। "আমাদের সমস্যার সমাধান কে করবে? টাকার জন্য ওনারা কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দেয়। ওদের কারণে আমরা শান্তিতে নাই। এটা কি সমাধান হবে না কখনোই? এটার সমাধান আমাদের সরকারকেই করতে হবে" - বলছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বারবার অভিযান চালিয়েও এসব রাসায়নিকের গুদাম সরানো সম্ভব হয়নি। চকবাজারের অগ্নিকান্ডে নিহতদের জন্য প্রার্থনা কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাবী করছেন, জায়গা পেলে এখান পুরনো ঢাকার অলি-গলি থেকে সরে যেতে তাদের আপত্তি নেই। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একটি কাজ আট বছরে বাস্তবায়ন করতে না পারায় বোঝা যায়, সরকার আসলে বিষয়টি তেমন একটা গুরুত্বই দেয়নি - এমনটাই বলছেন, পরিবেশবাদীরা। কারণ, সরকার চাইলে আট বছরেও একটি কাজ করা সম্ভব নয়, এ কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না অনেকের কাছেই। পরিবেশবাদী আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, "এখানে মুখ্য দায়িত্ব সরকারের। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সে ব্যর্থ হয়েছে, আইন বাস্তবায়বায়নকারী সংস্থা হিসেবে সে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের জানমালের হেফাজত দেয়ার যে দায়িত্ব তার (সরকার), সেটা করতে সে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার যদি সচেষ্ট হতো, তাহলে এ গোডাউনগুলোকে সরিয়ে নেয়া যেত।" বাংলাদেশে কোন দূর্ঘটনার পর সরকারের দিক থেকে প্রতিশ্রুতির কোন কমতি থাকে না। চকবাজার অগ্নিকান্ডের পর তাই হয়েছে। রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নেবার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেটি আদৌ গুরুত্বের তালিকায় থাকবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ আছে অনেকের মনে। আরও পড়তে পারেন: চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: দাহ্য পদার্থ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তর যা বলছে ভয়াবহ আগুনে নিহত ৭৮, স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে?
ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডে ৭০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যুর পর পুরনো ঢাকা থকে রাসায়নিক পদার্থের গুদামগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেবার কথা আবারো আলোচনায় এসেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিজিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালিয়ে তাদের দেশের এডিস মশার সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এম আখতারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানান, 'উলভাকিয়া' এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া, যা পুরুষ মশার শরীরে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। "মশা নির্মূল এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি উলভাকিয়া নামের এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া মশার দেহে প্রবেশ করিয়ে এডিস মশার সংখ্যা কমানোর পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ।" মি. আখতারুজ্জামান বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিজিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালিয়ে তাদের দেশের এডিস মশার সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। "ঐসব দেশের উদাহরণ পর্যবেক্ষণ করে এই উলভাকিয়া প্রজেক্ট বাংলাদেশেও প্রচলন করা বাস্তবসম্মত কিনা, তা যাচাই করতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে," জানান মি. আখতারুজ্জামান। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ ধরণের প্রকল্প কতটা সম্ভবপর এবং যুক্তিসঙ্গত হবে তা যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ঐ কমিটি। তবে মি. আখতারুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, "এ মুহুর্তে আমাদের মশা আমদানি করার কোনো পরিকল্পনা নাই।" "এই প্রকল্পের সম্ভাবনা যাচাই বা পরীক্ষামূলক প্রকল্প করা হবে কিনা সেবিষয়ে কারিগরি কমিটির মিটিংয়ের পরে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।" উলভাকিয়া: কীভাবে কাজ করবে এই প্রকল্প? বিভিন্ন দেশে কোন পদ্ধতিতে এই প্রকল্পের সফল পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে তা বিবিসি বাংলার কাছে ব্যাখ্যা করেন এম এম আখতারুজ্জামান। "উলভাকিয়া ইনফেক্টেড পুরুষ মশা পরিবেশে ছেড়ে দেয়ার পর তারা নারী মশার সাথে মিলিত হয়ে নারী মশাদের ডিম তৈরি করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।" মি. আখতারুজ্জামান জানান, এর ফলে একটি এলাকার এডিস মশার ঘনত্ব ৫০ ভাগ বা কখনো তার চেয়ে বেশি পরিমাণে কমে যায়। "যেই মশার মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়, সেই মশাটির সংখ্যা যখন পরিবেশে কমে যায় তখন ঐ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও কমে যায়।" এই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশে এই প্রকল্পের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে জানান মি. আখতারুজ্জামান। তবে এধরণের কোনো প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে গ্রহণের আগে অনেকগুলো বিষয় যাচাই করা প্রয়োজন বলে জানান মি. আখতারুজ্জামান। "এধরণের প্রকল্প গ্রহণের আগে পুনঃস্তরবিন্যাসকরণ, পরিবেশগত প্রভাব যাচাই, মানুষের ব্যবহারের ধরণ, সামাজিক ও ধর্মীয় দিকসহ নানা বিষয় যাচাই করা হয় এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষের মন্তব্য নেয়া হয়।" মি. আখতারুজ্জামান জানান, এই প্রকল্পটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এখনো এবিষয়ে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত আসেনি। "কারিগরি কমিটি একটি মতামত দেয়ার জন্য বলেছে। স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বেশকিছু প্রতিষ্ঠান, গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ মশা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের সাথে বসে ঠিক করা হবে যে এই উলভাকিয়া প্রজেক্টটি বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে কিনা।" আর যাচাই-বাছাই শেষে যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে হয়তো ডেঙ্গু প্রতিরোধে 'উলভাকিয়া' সংক্রমিত মশা ব্যবহারের চিন্তা করা হবে। আরো পড়তে পারেন: উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে কার হেফাজতে দেয়া হবে? রোজার দিনে খাওয়ার অভিযোগে আটক ৮০ যে নির্বাচনে মারা গেলেন পাঁচশো'র বেশি কর্মকর্তা গ্রিনল্যান্ড: যে দেশে বুধবার 'গর্ভপাত দিবস' গাপ্পি মাছ দিয়ে কি চিকুনগুনিয়া ঠেকানো যাবে? যেভাবে চলবে ঢাকা দক্ষিণের মশা নিধন অভিযান
ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে 'উলভাকিয়া' প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা যাচাই করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (ফাইল ফটো) কোটা বাতিলে সরকারি প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আগামিকাল (বুধবার) সারা দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন - সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় এক মাস পরেও কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ- উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পরিষদের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, "সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ২৭ দিন পার হয়ে গেছে, এর মাঝে প্রধানমন্ত্রী আরো একবার তার সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু কোনো প্রজ্ঞাপন এখনো নেই।" গত ২৭শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার সাথে বৈঠকের পর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রজ্ঞাপন জারির জন্য ৭ই মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। "আমাদের কথা দেওয়া হয়েছিল - প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরলেই প্রজ্ঞাপন হবে...অথচ কিছু তো দেখা যাচ্ছেনা," বলেন রাশেদ খান। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন বিবিসি বাংলাকে বলেন- সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে 'বিভ্রান্তিমূলক' বক্তব্য নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্দিহান হয়ে পড়ছে। মে মাসের দুই তারিখে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন - কোটা বাতিল হয়ে গেছে, এখন এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণের এক কোটি টাকা কি পাবে রাজীবের পরিবার? কুকুর ধরতে ড্রোন-ক্যামেরা, দূরবীন নিয়ে পুলিশ "পত্র-পত্রিকায় দেখলাম জন-প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোজাম্মেল হক বলেছেন- 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে কালই তিনি প্রজ্ঞাপন জারি করে দিতে পারেন', ...প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তাহলে আসছে না কেন?" কোটা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, সম্প্রতি একাধিক সরকারি চাকুরীর বিজ্ঞাপনে তারা কোটা থাকার বিষয়টি দেখেছেন। বিন ইয়ামিন বলেন, "৬/৫/২০১৮ তারিখে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার শর্ত রয়েছে...প্রজ্ঞাপন জারি না হলে কোটা থেকেই যাচ্ছে।" আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত একমাসের মধ্যে একাধিকবার সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃবৃন্দ আবারো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মি: ব্যানার্জি বলেন, কোন একটি বিষয় দারিদ্র বিমোচন আটকে রাখে না। এমন সময় তিনি এই সাক্ষাৎকার দিলেন যখন বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন দিবস। দারিদ্র বিমোচনে অনেক সমাধান লাগবে উল্লেখ করে মি: ব্যানার্জি বলেন, এর সাথে অনেক বিষয় জড়িত। "দুর্নীতি থাকলেই সবকিছু অকেজো হয়ে যাবে তা নয়। মানে দুর্নীতির ভেতরেও অনেক কিছু হয়, পরিবর্তন হয়। যে দেশে দুর্নীতি আছে সে দেশে পরিবর্তন আটকে থাকে না," বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন মি: ব্যানার্জি। "লোকেরা যারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকে, তাদেরও ভোট জেতার আশা থাকে।" ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর উদাহরণ টেনে মি: ব্যানার্জি বলেন, তিনি 'বিখ্যাত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট' ছিলেন বলে নানা লোকে বলে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় সবার জন্য স্কুল এবং অপুষ্টি দূর করার উপর জোর দিয়েছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। দারিদ্র বিমোচন ও মধ্যবিত্তদের মার খাওয়া অভিজিৎ ব্যানার্জির সাথে আরো যে দুজন নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তাদের একজন হলেন তার ফরাসি স্ত্রী এসথার ডুফলো এবং আরেকজন হলেন মাইকেল ক্রেমার। পুরস্কার পাওয়ার পরে মিস ডুফলো বলেন, গত ৩০ বছরে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে দুটো গ্রুপ খুবই লাভবান হয়েছেন। একটি অংশ হচ্ছে অতি ধনী এবং অপর অংশটি হচ্ছে অতি দরিদ্র। তার অর্থ কি মধ্যবিত্তরা মার খাচ্ছে? অভিজিৎ ব্যানার্জি বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে বলেন, "হ্যাঁ, তারা মার খেয়েছে। যেমন মার্কিন দেশে, যেখানে আমরা থাকি, সেখানে মধ্যবিত্তরা মার খেয়েছে। এবং দরিদ্ররাও মার খেয়েছে। মার্কিন দেশে যারা দরিদ্র, তারাও পৃথিবীতে মধ্যবিত্ত। তারাও মার খেয়েছে।" "যারা মার খায়নি তারা হচ্ছে পৃথিবীর দরিদ্র দেশের দরিদ্র লোকেরা - ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং চীন - এসব দেশের দরিদ্রদের উন্নতি হয়েছে।" এসথার ডুফলো-অভিজিৎ ব্যানার্জি দম্পতি পৃথিবীর নতুন ধন-সম্পদ সব ধনীদের কাছে যাচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে মি: ব্যানার্জি বলেন, সেখান থেকে দুই-চার ফোঁটা যেগুলো ছিটকে যাচ্ছে সেগুলোও যদি গরীবরা পায় তাতেই তারা এগিয়েছে। কারণ তারা এতোটাই দরিদ্র যে সে দুই-চার ফোঁটাও তাদের কাজে লাগছে। দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্র্যাকের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দারিদ্র্য একটি সমস্যা নয়, এটা বহুমাত্রিক সমস্যা। কিছু প্রকল্প আছে যার মাধ্যমে অতি দরিদ্রদের জন্য কাজ করা যায়। অন্য আরেকটি অংশ আছে যারা তাদের চেয়ে কম দরিদ্র। ব্র্যাক অনেক আলাদা ধরনের প্রোগ্রাম করে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য-শিক্ষাও রয়েছে। "তাদের ধারণা আমাদের মতোই। নানা সমস্যার নানা সমাধান আছে।" অভিজিৎ ব্যানার্জিকে নিয়ে ভারতে বিতর্ক নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পরে অভিজিৎ ব্যানার্জিকে নিয়ে ভারতে বেশ বিতর্ক হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উপদেষ্টা ছিলেন। ক্ষমতাসীন বিজেপির অনেক নেতা অভিজিৎ ব্যানার্জিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মি: ব্যানার্জি বলেন, তিনি এই বিতর্কে জড়াতে চাননা। তাছাড়া তিনি কখনো রাহুল গান্ধীর উপদেষ্টা ছিলেন না বলেও উল্লেখ করেন মি: ব্যানার্জি। "উপদেষ্টা হতে গেলে যে ধরণের লেভেল অব ইন্টার‍্যাকশন লাগে সেটা আমার কোন সময়ই ছিলনা। কিন্তু তাই বলে আমি নিশ্চয়ই বলছি না যে আমি ওদের বিরোধীও নই। পলিটিক্সের সাথে আমাদের কাজটা জড়াতে আমি অসম্মত।" তিনি বলেন, আবুদল লতিফ জামিল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি গুজরাটে মোদি সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সাথেও কাজ করেছেন। অভিজিৎ ব্যানার্জির চিন্তা হচ্ছে, দরিদ্রদের উন্নয়নের জন্য অর্থ যাতে ঠিক মতো খরচ করা হয় সেদিকে তাদের দৃষ্টি বেশি। কোন রাজনৈতিক দল সেটি করছে তা মুখ্য বিষয় নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। কলকাতা নিয়ে দুঃখ ভারতের কলকাতা শহর অনেকের কাছেই 'নোবেল নগরী' হিসেবে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন এবং মাদার টেরিজাসহ বেশ কয়েকজন নোবেল বিজয়ীর সাথে এই শহরের সংযোগ রয়েছে। এখন এই তালিকায় যুক্ত হলেন অভিজিৎ ব্যানার্জি। মি: ব্যানার্জি কলকাতা শহরেই বেড়ে উঠেছেন। ১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন হার্ভার্ড থেকে। অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, কলকাতা একসময় ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় শহর ছিল। সেখানে সবাই আসতো। কলকাতা ভারতবর্ষের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা শহর ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। "সেই দিনটা এখন গেছে কলকাতার। সেটাই দুঃখের কথা। অনেকে কলকাতায় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাটিয়েছিল। কলকাতায় বসে রিসার্চ করেছিল। রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় বসে তার কাজ করেছিলেন। সেটা কলকাতায় যে হচ্ছে না সেটাই দুঃখজনক। " পুরষ্কার পরবর্তী জীবন নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর আপনার জীবনে কী বদলেছে? জীবন আপাতত কিছু বদলাবে না বলে তিনি মনে করেন। "আপাতত প্রতি ঘণ্টায়-ঘণ্টায় এখন মিটিং, ফোন কল, ইন্টারভিউ চলছে। আশা করি কিছুদিন পর এটা থিতিয়ে যাবে এবং আমার জীবনটা যা ছিল সেখানে পুরোদস্তুর ফিরে যাবে।" তিনি বলেন, দারিদ্র্য নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলে আবার অনেকে ভুলও বলে। অভিজিৎ ব্যানার্জি দারিদ্র বিষয়ে তত্ত্বের ভেতরে না থেকে হাতে কলমে দেখিয়েছেন যে দারিদ্র্যের চেহারাটা কেমন এবং সেখান থেকে বের হবার উপায় কী। "আমরা বাড়িতে বসে চোখ বন্ধ করে তত্ত্ব বের না করে লোকেরা যা করছে যেটা দেখে তার ভেতর থেকে তত্ত্বটা বের করেছি," বলছিলেন মি: ব্যানার্জি। আরো খবর: বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় রোহিঙ্গা ক্রিকেটার ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? পাকিস্তানে যে মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম নেয়া হয় না প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যা কী করে সম্ভব?
সদ্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি মনে করেন, একটি দেশে দুর্নীতি থাকলেই সবকিছু অচল হয়ে যায় না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গ্রীজম্যান, লুকাকু, এমবাপে, আজা (বাম থেকে ডানে) সেন্ট পিটার্সবার্গে মঙ্গলবারের বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি কেমন হতে পারে? এই প্রশ্নে ছোটো একটি বাক্যে উত্তর দিলেন বিবিসির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এবং ব্রিটেনের অন্যতম শীর্ষ ফুটবল ভাষ্যকার মিহির বোস। "একবারে শুরুর দিকে গ্রুপ স্টেজে অসামান্য ম্যাচ হয়েছিল পর্তুগাল এবং স্পেনের মধ্যে, আমার মনে হয় আজকের ম্যাচটি তার চেয়েও ভালো হবে। এই ম্যাচটি যদি ফাইনাল ম্যাচ হতো, তাহলে হয়তো এই বিশ্বকাপের সবেচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল হতো।" কেন তিনি এতটা আশা করছেন? মিহির বোসের উত্তর - এই বিশ্বকাপের দুই সেরা দল ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম। "এবং এই দুটো দল যে কৌশল অনুসরণ করছে, তাতে তারা দুজনেই ৯০ মিনিটের মধ্যে জেতার চেষ্টা করবে।, অ্যাটাকিং ফুটবল খেলবে, রক্ষণাত্মক খেলা খেলবে বলে মনে হয়না।" বিশ্বকাপে ফাইনালের চেয়ে এমনিতেই সেমি-ফাইনালে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলা হয়। ফাইনাল ম্যাচের মত চাপ থাকে না সেমিফাইনালে । খেলোয়াড়রা মনে করে, আর একটি ধাপ পেরুলেই ফাইনাল, তাই তাদের সবটুকু তারা ঢেলে দেয়। আর এবার ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের মত দলের মধ্যে যুদ্ধ সেমিফাইনালের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন মিহির বোস। অ্যাটাকিং ফুটবল খেলা এ দুটি দলের রয়েছে বিশ্বের সেরা বেশ ক'জন ফুটবলার। ফ্রান্সের রয়েছে তরুণ কিলিয়ান এমবাপে, যাকে এখন ফুটবলে 'নতুন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো' হিসাবে ডাকা শুরু হয়ে গেছে, এবং 'গোল মেশিন' আন্তোয়ান গ্রীজম্যান। মাঝমাঠে পল পগবা। অন্যদিকে বেলজিয়াম দলটিকেই এখন বলা হচ্ছে "গোল্ডেন জেনারেশন।" কেভিন ডি ব্রাইনা, রোমেলু লুকাকু, এডিন আজা বিশ্বের যে কোনো দলকে ছারখার করে দিতে পারে। জাপান এবং ব্রাজিলের সাথে পর পর দুটো ম্যাচে তা তারা করে দেখিয়েছে। বেলজিয়ামের কোচ মার্টিনেজের কৌশল বিশেষ নজর কেড়েছে 'সবাইসবাইকে চেনে' সেইসাথে এই দুই দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের কম-বেশি চেনে। তাদের অনেকে ক্লাব ফুটবলে সতীর্থ খেলোয়াড়। যেমন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবে পল পগবার সহ-খেলোয়াড় বেলজিয়ামের লুকাকু এবং ফেলাইনি। ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবে ডি ব্রাইনা এবং ভিনসেন্ট কোম্পানির সহ-খেলোয়াড় ফ্রান্স দলের মেনদি এবং লাপোর্তে। মিহির বোস মনে করেন, যেহেতু এরা সবাই সবাইকে মোটামুটি চেনে, কে কীভাবে খেলে তা জানে, ফলে ম্যাচটি আরো আকর্ষণীয় হবে। তারপরও কোন দলকে তিনি এগিয়ে রাখবেন? "একটু হলেও ফ্রান্স," তার উত্তর ছিল। কতগুলো কারণ দিলেন মি. বোস। প্রথম কথা, ফ্রান্স এর আগে বিশ্বকাপ জিতেছে - কিন্তু বেলজিয়াম কখনো জেতেনি, যেটার একটা মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব আছে। "ফ্রান্সের বর্তমান কোচ দেশাম্প বিশ্বকাপ জয়ী দলে খেলেছেন, অভিজ্ঞতা রয়েছে।" তাছাড়া গোল্ডেন জেনারেশনের বিশেষণ বেলজিয়ানদের মধ্যে চাপ তৈরি করতে পারে, যে চাপ ফ্রান্সের দলে নেই। "এছাড়া, বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ ততটা শক্ত নয়, এমবাপে এবং গ্রীজম্যান জুটি যদি একসাথে খেলতে পারে, তাহলে তারা গোল করতে পারবে।" ১৯৯৮ তে বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে ফরাসী কোচ দিয়ের দেশম্পের বিভক্ত ফুটবল ভাষ্যকাররা তবে অনেক বিশ্লেষক আজকের ম্যাচে তো বটেই, বেলজিয়ামকেই বিশ্বকাপের প্রধান দাবিদার হিসাবে দেখছেন। ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড এখন বলছেন, "টুর্নামেন্টের আগে এই দলটির মেন্টালিটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল, দুবছর আগে ইউরোতে তারা হতাশ করেছে। কিন্তু এখন তারা সমালোচকদের সঠিক জবাব দিতে পারছে, ব্রাজিলের মত দলকে তারা যেভাবে নাস্তানাবুদ করে হারালো, তাতে পরিষ্কার যে তাদের দাঁত এখন কতটা ধারালো।" বিবিসির ফুটবল ভাষ্যকার প্যাট নেভিন বলছেন, "বেলজিয়ামের কাপ জেতার সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বেশি... কোনো দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের প্রধান খেলোয়াড়দের ফর্মে থাকা।" ব্রাজিলের সাথে ম্যাচে আজা, ডি ব্রাইনা এবং লুকাকু সেই প্রমাণ দিয়েছেন। ঢাকার ফুটবল ভাষ্যকার এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ একেএম মারুফুল হক বিবিসিকে বলেন, "আমি নির্দ্বিধায় মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে (ফ্রান্সের বিরুদ্ধে) বেলজিয়ামকে এগিয়ে রাখবো।" মি. হক বলছেন, ব্রাজিলের মত 'অল-রাউন্ড" দলকে যেভাবে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে হারালো, তাতে বেলজিয়াম এখন শিরোপার এক নম্বর দাবিদার। "দল, কোচ, ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং অ্যাটাক - এই পাঁচটি বিষয়ের বিবেচনায় গ্রুপ স্টেজে ব্রাজিলকে পাঁচের মধ্যে পাঁচ দিতেই হতো। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে (জাপান এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটো) বেলজিয়ামকে সাড়ে পাঁচ দিতে হবে।" বিশেষ করে বেলজিয়ান কোচ মার্টিনেজকে নিয়ে মুগ্ধ মি. হক। "শেষ দুই ম্যাচে কৌশল প্রয়োগে অসামান্য বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন তিনি।"
"মাউথ ওয়াটারিং - যেটাকে বলে জিভে জল আসার মত একটি ম্যাচ।"
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে ১৯শে মে। এর পাশাপাশি, ''নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপে''র গুরুতর অভিযোগ এনে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ আমলা বা স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে নির্বাচনী প্রচার আগেই শেষ করে দেওয়ার এই নির্দেশ যেমন প্রায় নজিরবিহীন, তেমনি ভোটে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে কোনও রাজ্যের শীর্ষ আমলাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও খুব বিরল। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে কমিশন বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) রাত দশটার মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করতে হবে। রাজ্যে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী রবিবার, ১৯শে মে। সেদিন রাজধানী কলকাতা ও তার আশেপাশের আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে, যার জন্য প্রচারণা চলার কথা ছিল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পিছনে কোন রাজনীতি? 'জয় শ্রীরাম' শুনে গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধর্ম কেন এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ? কলকাতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ্-র নির্বাচনী শোভাযাত্রাকে ঘিরে চরম সহিংসতা। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (সিআইডি) রাজীব কুমারকেও দায়িত্ব থেকে ছুটি দিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে রিপোর্ট করতে। এর আগে কলকাতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ্-র নির্বাচনী শোভাযাত্রাকে ঘিরে চরম সহিংসতার পর বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। তার পরই বুধবার রাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই সব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। অন্য দিকে, মঙ্গলবার কলকাতায় অমিত শাহ্-র মিছিলের সময় যে গন্ডগোল, মারধর বা কোনো মনীষীর মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে শহরে এক পদযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এদিন অভিযোগ করেছেন, মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্যে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছেন। মমতা ব্যানার্জীর সংবাদ সম্মেলন নির্বাচন কমিশনের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার বেশি রাতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী । পশ্চিমবঙ্গের এক নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিনি বলছেন, এই দিনটি ''গণতন্ত্রের পক্ষে একটা কালা দিন''। তার আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন পুরোপুরিভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির নির্দেশ মেনে চলছে। সেইজন্যই, পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর যে দুটি সভা রয়েছে বৃহস্পতিবার, ''সে দুটো শেষ হওয়ার পরেই প্রচার বন্ধ করার এই নির্দেশনা দেওয়া হল''। কয়েকজন বিশ্লেষকও এই প্রশ্ন তুলছেন যে, যদি মঙ্গলবারের অশান্তির কারণেই প্রচারণা তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন তো সেটা বুধবার রাত দশটাতেই শেষ করে দিতে পারত! স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য আর সি আই ডি-র অতিরিক্ত মহাপরিচালক রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তারও তীব্র সমালোচনা করেন মিজ. ব্যানার্জী। এছাড়াও সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশন প্রচারের সময় সংক্ষিপ্ত করে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন আইনজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংবিধানের এই ধারাটির বলে বলীয়ান হয়েই নির্বাচন কমিশন ভোট পরিচালনা করে। এই ধারাটির প্রয়োগ তো শুরু হয়ে গেছে যেদিন থেকে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, সেদিন থেকেই। ''প্রথমবার এই ধারা প্রয়োগ করা হল - এই কথার অর্থ কী''! তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের একটি ধারা প্রয়োগ করে এর আগেও ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রচারের জন্য কম সময় দেওয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: অজগরটি যেভাবে আবার ছেড়ে দেয়া হলো জঙ্গলে 'সৌদি গ্রিন কার্ড': কারা পাবেন, কী দক্ষতা লাগবে গরুর দুধে জীবাণু: নতুন পরিকল্পনা কতোটা কাজে দেবে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা আর সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের পটভূমিতে ওই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণা নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নদীর দিকে হাত দিয়ে দেখাচ্ছিলেন "বাড়িটি এখানেই ছিল" কিন্তু সেখানে এখন আর কিছুই নেই। সেই জায়গাটি হারিয়ে গেছে নদী ভাঙনে । “আমার ঘরটা এখানে ছিল। রাত্র আনুমানিক বারোটার দিকে দেখলাম ব্লক পড়তেছে। আধাঘণ্টাও সময় নেয়নাই পুরা ঘরটা নদীর মধ্যে বিলীন হইয়া গেল গা”। নিজের ঘরের জিনিসপত্র কিছুই রাখতে পারেন নি দীপক দাশ। * দেখুন: ইন্টার‍্যাকটিভ ম্যাপে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ নদী তিনি বলছেন, গেল ভাদ্র মাসে যে ভাঙন হয়েছে তেমন প্রবল ভাঙন তার চল্লিশ বছরের জীবনে আর দেখেন নি। নিরুপায় হয়ে নদীর পাড়েই আবার ঘর উঠিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান। সাংবাদিক এসেছে দেখে দীপকের মত নদী ভাঙনের শিকার আরও অনেকেই এগিয়ে আসেন কথা বলতে। * ক্লিক করুন: আমার নদী, বিবিসি বাংলার ফেসুবক পাতা তাদের মাঝে ছিলেন স্থানীয় হরিসভা মন্দিরের যাজনিক কেদারনাথ চক্রবর্তী। তিনি চল্লিশ বছর ধরে হরিসভার পূজারী হিসেবে রয়েছেন। তার পরিবার তিনবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। বর্ষা এলেই শুরু হয় নদী ভাঙন আতঙ্ক। এ তো গেল মেঘনা নদীতে ঘর হারানো মানুষদের কথা। নদী তীরে যাদের ঘর এখনো টিঁকে আছে তারাও দিন কাটান শঙ্কা নিয়েই। চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট থেকে একটু সামনেই গোবিন্দা এলাকা। সেখানে নদী তীরের ভাঙনের দৃশ্য চোখে পড়ে। নদীর পাড় ভেঙে পড়া মাটির চাকাও দৃশ্যমান। দুপুরের দিকে মেঘনা নদী থেকে কলস ভরে পানি তুলছিলেন রাহিমা বেগম। এই মেঘনার পানি রান্না এবং গেরস্থালীর অন্যান্য কাজে লাগে প্রতিদিন। আবার এ নদীই তার মত নদী পাড়ের মানুষগুলোর চিন্তারও কারণ। তাদের বাড়ি নদীর পাড় থেকে কতদূরে জানতে চাইলে রাহিমা বলেন, “নদীর থাইকা আগে তো অনেক দূরেই ছিল। এখন তো অ্যাক্কেরে লগে আইসা পড়ছে। এই বর্ষাটাও টিঁকবো কি-না জানি। এমন তো অনেকের ঘরবাড়ি গেছে”। নদীর তীরে ঘর যাদের তাদেরও স্বস্তি নেই। গৃহস্থালীর সঙ্গী নদী। আর গৃহের কাছে এলেই ভয়। বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান নদী মেঘনা মূলত সুরমা, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও গঙ্গার মিলিত স্রোতধারা। মেঘনার তীরবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে নরসিংদী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের কিছু কিছু এলাকা মেঘনার ভাঙনের মধ্যে রয়েছে। চাঁদপুরের ওপর দিয়ে দেশের ৯০ ভাগ নদ-নদীর পানি বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়। ফলে মেঘনা মোহনা বর্ষার সময় হয়ে ওঠে ভয়ংকর। মেঘনার ভাঙনের কারণে এই শহরটির বেশ কিছু এলাকা এরি মধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বসতঘর, গাছপালা এবং ফসলি জমি । চাঁদপুর জেলায় বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার কাছে মেঘনা, পদ্মা ও ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যে এই মোহনা বেশ বিপদজনক বলে পরিচিত। কারণ এখানেই প্রবল স্রোতের ঘূর্ণিতে ডুবে গেছে একাধিক নৌযান যার আর হদিস মেলেনি। আবার সুস্বাদু ইলিশের জন্যও বিখ্যাত এই স্থানটি। তবে চাঁদপুর জেলাটি প্রমত্ত মেঘনার উত্তাল স্রোতে ভাঙন প্রবণ হওয়ায় এখানকার অনেক মানুষ আজ বাস্তুহারা। মেঘনা নদী চাঁদপুর জেলার মধ্যে প্রবাহিত ৪০ নটিক্যাল মাইল ধরে। ব্লক ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা। কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা বলছেন, বর্ষার সময় ব্লক আরও নিচে নেমে যায়। মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য চাঁদুপরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে, ব্লক ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। এখনো গোবিন্দা, হাইমচর পুরান বাজার, বড় স্টেশন ঝুঁকির মধ্যে আছে। বর্ষার মৌসুম এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় বলে জানান স্থানীয় লোকেরা। চাঁদপুর নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মন্টু গাজী বলছিলেন শহরের নতুন বাজার যেটি মূল হেড নামে পরিচিত সেটি এবং পুরানবাজার দুটি ব্যবসায়িক এলাকাই বিপদের ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি বলেন, পুরানবাজার এলাকাটি বহু প্রাচীন একটি ব্যবসায়িক এলাকা। কিন্তু পুরান বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নদী ভাঙনের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে রয়েছেন। মিস্টার গাজী জানান, পুরান বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের কোন ব্যাংক এখন আর ঋণ দিতে চায় না। “ব্যাংক থেকে নিষেধ আছে পুরান বাজারে সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ দেয়া। এটার জন্য আমরা অনেক আন্দোলন করেছি। কিন্তু ব্যাংক বলে আমরা কি করবো? ওপর থেকে আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেহেতু এটা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা”। অসংখ্য বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা। ছবিটি হরিনা ফেরিঘাট সংলগ্ন গোবিন্দা গ্রামের কাছে তোলা। সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং নদী ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মজিবর রহমান বলছিলেন, এরি মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক পুরান বাজারের ব্যবসায়িক এলাকা থেকে শাখাও গুটিয়ে নিয়ে গেছে। কারণ তারাও এখন আতঙ্কিত। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকে ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের লোকেরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে তিনি উল্লেখ করেন। “অনেকগুলি ব্যাংকের শাখাও চলে গেছে এখান থেকে। ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এরি মধ্যে চলে গেছে। আমরা জেনেছি কৃষি ব্যাংকও চলে যাবে”। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আতাউর রহমান আতংকিত হওয়ার মত অবস্থা এখন আর নেই বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "নদী ভাঙার কারণগুলো আরও কিছু হয়েছে। যেমন নদীর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে চর পড়ায় গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে বা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত ড্রেজিং এর কারণে নদীপথ পরিবর্তন তরান্বিত হচ্ছে। এটাও নদী ভাঙনের একটি কারণ। তবে অত আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থা বর্তমানে নাই। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি”। প্রমত্তা মেঘনা ঘর নিয়ে গেছে। আবার খাবারেওর খোঁজ মেলে মেঘনার বুকে। আবার ফিরে যাই ভাঙনের শিকার মানুষদের কাছে। সত্তর বছরের বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ। জাফরাবাদে কয়েক বছর আগেও তার বাড়ি ছিল, জমি ছিল, হাঁস-মুরগী ছিল। ঘর বাড়ি হারিয়ে তিনি এখন নি:স্ব। গুচ্ছগ্রাম করে কিছু মানুষের আবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে যাদের ঘরবাড়ি আছে তাদেরও সেখানে পুনর্বাসিত করা হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। নদী ক্রমশ এগিয়ে আসছে লোকালয়ের দিকে। বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ গুচ্ছগ্রামের জন্য নাম নিবন্ধন করেও এখনও ঘরহারা। মেঘনা নদী ভোলা, বরিশাল, মেহেন্দীগঞ্জসহ বহু অঞ্চলেই নিজের পাড় যেমন ভাঙছে, সেইসাথে ভেঙে চলেছে বহু মানুষের জীবনের গতিধারা। চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের কারণে ঘরহারা দিশেহারা শত শত মানুষ বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে নদীতে যেসব ব্লক ফেলা হচ্ছে সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী নয়। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে এগুলো নিচের দিকে নেমে যায়। বালুর বস্তা ফেলে বা ব্লক দিয়ে শহরটিকে রক্ষা করা যায় না। পানির গভীরতা সঠিক পদ্ধতিতে যাচাই করে নদী ড্রেজিং-ই মেঘনার ভাঙন ঠেকানোর একমাত্র উপায় বলে তারা মনে করছেন।
চাঁদপুর শহরের হরিসভা এলাকার দীপক দাশ। মেঘনা নদীরে তীরে দাড়িয়ে নদীর দিকে হাত দিয়ে দেখাচ্ছিলেন, একসময় তার ঘরটি কোথায় ছিল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
হামলার দিনের চিত্র সেনেট কমিটিতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় তারা বলেন, "দাঙ্গাকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো"। ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভকারীদের কংগ্রেস ভবনে ওই হামলার ঘটনায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছিলো। ওই হামলার পর পদত্যাগ করা চারজন কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন মঙ্গলবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে সাক্ষ্য দেন। ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট কোন্তে আইনপ্রণেতাদের বলেছেন দাঙ্গাকারীদের দমনে পেন্টাগন থেকে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপস মোতায়েনে এত বেশি সময় লেগেছিলো যা তাকে বিস্মিত করেছে। ডেমক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। পরে সেনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় মিস্টার ট্রাম্প শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তারা যা বলেছেন ক্যাপিটল পুলিশের সাবেক প্রধান স্টিভেন সান্ড বলেছেন ক্যাপিটল হিল থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দুরে রাখার জন্য পাইপ বোমা রাখা হয়েছিলো। "দাঙ্গাকারী গ্রুপ যখন যখন সিকিউরিটি এরিয়ায় আসে তারা অন্য সাধারণ প্রতিবাদকারীদের মতো করে আসেনি। এটি আর কখনোই দেখিনি আমি," বলছিলেন তিনি। তিনি বলেন ফেডারেল এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বিত ও পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিলো। ক্যাপিটল পুলিশ ক্যাপ্টেন কারনেসা মেনডজা কমিটিতে বলেন, তার মুখে রাসায়নিক দ্রব্য ছুড়েছিলো হামলাকারীরা যা থেকে এখনো তিনি সেরে ওঠেননি। "এক সাথে এত কিছু হয়েছে যে আমার ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ," বলছিলেন তিনি। তিনি মনে করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আরও অন্তত দশগুণ লোকবল থাকা দরকার ছিলো। মিস্টার সান্ড ঘটনার পরপর পদত্যাগ করেছিলেন এই কর্মকর্তা বলেন এফবিআই রিপোর্টে হামলাকারীদের যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলা হলেও সেটি হামলার আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে পৌঁছায়নি। আর কর্মকর্তারা মিলিটারি ট্রুপস চাননি এমন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন সাবেক সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস পল ইরভিং। আর সাবেক সেনেট সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাইকেল স্টেনজার বলেন, " আমরা সবাই একমত যে ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট পাওয়া যায়নি"। ওদিকে সেনেটর আমি ক্লবুচার জানিয়েছেন যে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপস ডাকার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পেন্টাগন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দিতে ডাকা হবে। সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছিলো ক্যাপিটল হিলে যা ঘটেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক দেশটির ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়েছিলো। তখন নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে অনুমোদন করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সহিংসতার যেসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে - সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলের ভেতরে ঢুকে সেখানে ঘুরে ঘুরে কতোটা তাণ্ডব চালাতে সক্ষম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের দেখা গেছে তারা ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে, ছবি তুলছে, এমনকি অনেকে তাদের এই তাণ্ডবলীলা সোশাল মিডিয়াতেও সরাসরি সম্প্রচার করেছে। সেনেটের অধিবেশন কক্ষে ঢোকার জন্য বারান্দা টপকে ঢোকেন একজন বিক্ষোভকারী অনেকে ভবনের ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে - যেগুলোকে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টেলিভিশনে এবং অনলাইন মিডিয়াতে এই আক্রমণের খবর সারা বিশ্বে প্রচার হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই সেখানে মোতায়েন থাকা ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভবনটির নিরাপত্তার জন্যে সেখানে প্রায় ২০০০ সদস্যের একটি বাহিনী ক্যাপিটল পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে গত ৬ই জানুয়ারির হামলার আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কর্মকর্তারা ওই হামলার জন্য গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সোমবার ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পাঠানো বিমান ছেড়ে যায় সোমবার ভোররাতে টোকিওর হ্যানেডা বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পাঠানো বিমান ছেড়ে যায় বলে জানাচ্ছে কিওডো নিউজ এজেন্সি। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার কারণে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে আটকে আছে ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জাহাজটিতে ৩৫৫ জনেরও বেশি লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনের বাইরে একক কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এই জাহাজেই। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন, এদের মধ্যে অন্তত ৪০জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের চিকিৎসা জাপানেই হবে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে প্রায় ৩,৭০০ যাত্রী নিয়ে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে আটকে আছে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের একজন যাত্রী হংকং এ নেমে যাবার পর তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে আটক করা হয়। এরপর থেকে জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে প্রবল ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দৈনন্দিন জীবনযাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা শুরু হয়। যাত্রীদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। খাবার ঘরে পৌঁছে দেয়া হতে থাকে। যারা ঘরে খাবার নিয়ে যাবে তারা মুখোশ, গ্লাভস, প্লাস্টিকের এ্যাপ্রন ইত্যাদি পরে এ কাজ করেছেন। জাহাজে ক্রু আছেন ১ হাজার ৪৫ জন। এছাড়া জাহাজের বাইরে ৫০টি অ্যামবুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয় জরুরী ভিত্তিতে রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য। জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়া মার্কিন নাগরিকদের জাপানে চিকিৎসা করা হবে। জাহাজে কারো সংক্রমণ দেখা দিলে তাকে বাইরে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে যারা বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন, তাদের মধ্যে কেই সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়। ডা. ফাউসি বলছেন, "তবে বিমানে থাকা কারো মধ্যে যদি আক্রান্ত হবার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে বিমানের মধ্যেই তাকে আলাদা করে ফেলতে হবে। " যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর এই যাত্রীদের প্রত্যেককে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। তবে জাহাজে থাকা কিছু যাত্রী মার্কিন সরকারের পাঠানো বিমানে ফেরত যেতে রাজি হননি। তারা ১৯শে ফেব্রুয়ারি জাহাজের সবার কোয়ারেন্টিনে থাকা সময়সীমা শেষ হলে একসঙ্গে ফিরতে চান। ম্যাট স্মিথ নামে জাহাজের একজন যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, একদল সম্ভাব্য করোনাভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সঙ্গে তিনি বাসে করে বিমানে চড়তে যেতে রাজি নন। চীনের হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার হার সবচেয়ে বিশ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেবার জন্য ইসরায়েল, হংকং এবং কানাডার চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে। এদিকে, জাহাজে আটকে পড়া যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দেবার অংশ হিসেবে জাপান সরকার ২,০০০টি আইফোন উপহার দিয়েছে, মানে প্রতি কেবিনের জন্য একটি হিসেব করে। যাত্রীদের জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বানানো অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীর সঙ্গে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, মনোবিদের সংযোগ স্থাপন করে দেয়া আছে। জাপানের বাইরে অন্য দেশে রেজিস্টার করা ফোন থেকে ঐ সেবা পাওয়া যায়না। চীনে কী অবস্থা? সরকারি হিসাব অনুযায়ী চীনের হুবেই প্রদেশে ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১০০ জন মানুষ মারা গেছেন। আরো পড়ুন: পাঁচটি দেশ ফিরিয়ে দেবার পর অবশেষে বন্দর পেলো জাহাজটি করোনাভাইরাসে হওয়া রোগের নতুন নাম 'কোভিড-১৯' করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য এর আগের দিন সেখানে ১৩৯জন মারা গিয়েছিলেন। সোমবার দেশটিতে নতুন করে ২০৪৮জন আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ১,৯৩৩ জনই হুবেই প্রদেশের। চীনে এ পর্যন্ত মোট ৭০ হাজার পাঁচশো জনের মত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া রোগের আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছে কোভিড-১৯। এটি 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ভাইরাসে ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়ানোর পর এই ঘোষণা আসে।
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে দুইটি উড়োজাহাজে করে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
গন্ডক নদী নেপালে উৎপন্ন হয়ে ভারতের বিহারে প্রবেশ করেছে নেপাল-ভারত সীমান্তে গন্ডক নদীর ওপর যে ব্যারাজ আছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নেপাল বারবার বাধা দেওয়ার পর বিহার সরকার এ ব্যাপারে দিল্লির জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে। পাশাপাশি, আসামের বাকসা জেলার হাজার হাজার চাষী অভিযোগ করছেন, মিত্র দেশ ভুটান তাদের সেচের জল আটকে দিয়েছে। বাকসার জেলা প্রশাসনও বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন যে তারা বিষয়টি নিয়ে ভুটানের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। কিন্তু ভারতের উত্তর সীমান্তে চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই এবারে বিভিন্ন নদী নিয়ে কেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের বিরোধ? বস্তুত লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পুয়াধারার মতো সীমান্তের বিতর্কিত এলাকাগুলোকে নেপাল নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জেরে দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই - এখন তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে গন্ডক ব্যারাজ নিয়ে দুদেশের বিরোধ। বহু বছরের সমঝোতা অনুসারে সীমান্তবর্তী এই ব্যারাজটি ভারতই বরাবর রক্ষণাবেক্ষণ করে এসেছে - কিন্তু এই মরশুমে টানা দশদিন চেষ্টা চালানোর পরও ভারতীয় প্রকৌশলীরা সে কাজে সফল হননি, বুধবারও তাদের ব্যারাজ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা বলছেন, "বাল্মীকিনগর জেলায় গন্ডকের ওপর যে ব্যারাজ আছে তাতে মোট ছত্রিশটা গেট আছে - আঠারোটা ভারতের দিকে, আঠারোটা নেপালের দিকে।" "এখন নেপালের দিকে যে আঠারো নম্বর বা শেষ গেট, সেখানে তারা হঠাৎ প্রাচীর তুলে দিয়েছে।" "ফলে বন্যা মোকাবিলার সরঞ্জাম নিয়ে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা ওদিকে যেতেই পারছেন না, বাঁধের ডানদিকের অংশ বা অ্যাফ্লাক্সটা বিরাট ঝুঁকিতে পড়েছে।" "গন্ডক দিয়ে রোজ রাতে এখন দেড় লাখ কিউসেক জল প্রবাহিত হচ্ছে - কিন্তু আমরা যদি মেরামত আর মনিটরিংয়ের কাজই না-করতে পারি তাহলে পুরো উত্তর বিহারই ভীষণ বন্যার বিপদে পড়বে।" উদ্বিগ্ন বিহার সরকার এরপরই এই সঙ্কটে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে বুধবার দিল্লিতে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছে। আসামে চাষীদের বিক্ষোভ ওদিকে ভুটান সীমান্তবর্তী আসামের বাকসা জেলাতেও পঁচিশটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার চাষী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভুটান সরকার তাদের অভিন্ন নদীগুলোর সেচের জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, যে ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কেন ভারত-নেপালের কালাপানি বিরোধ কি চীনের উস্কানিতেই বিশ্লেষণ: ভারত-ভুটান সম্পর্ক কোন্‌ পথে? আসামের বাকসা জেলায় একদল কৃষক। ক্ষেতে সেচের জন্য তারা ভুটানের নদীগুলোর ওপরেই নির্ভরশীল সমস্যা যে একটা তৈরি হয়েছে, বিবিসি বাংলার কাছে তা স্বীকার করেছেন বাকসার ডেপুটি কমিশনার রঞ্জন শর্মাও। মি শর্মা বলছিলেন, "এটা আসলে লকডাউনে ভুটান সীমান্ত সিল করে দেওয়ার কারণেই হয়েছে।" "আমাদের চাষীরা এতদিন অবাধেই সীমান্ত পেরিয়ে ভুটানের দিকে চলে যেতেন, তারপর ছোট ছোট নদীর ধারাগুলো সুবিধেমতো চ্যানেল কেটে নিজেদের চাষের ক্ষেতে সেচের জন্য নিয়ে আসতেন।" "সীমান্ত এখানে শিথিল, দুদিকের স্থানীয় লোকজন বিনা বাধাতেই এপার-ওপার যাতায়াত করেন, কাজেই কোনও অসুবিধা হত না।" "কিন্তু এখন যে সমস্যাটা হচ্ছে, এই বিষয়টা আমি আমাদের লাগোয়া ভুটানের সামড্রুপ জোঙ্কার জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে জানিয়েছি, তিনি বিষয়টা দেখারও আশ্বাস দিয়েছেন।" ভুটান থেকে বেকি, পাগলাদিয়া, পুথিমারির মতো যে সব নদী ভারতে নেমে এসেছে, বাকসা জেলার কৃষকরা সেচের জন্য সেগুলোর অসংখ্য ছোট ছোট শাখানদী বা পাহাড়ি ঝোরার ওপরেই নির্ভরশীল। এবারের চাষের মৌশুমে সেই সেচের জল না-পেয়ে তারা গভীর সঙ্কটে পড়েছেন। মেধা পাটকর ভারতের সুপরিচিত পরিবেশকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট মেধা পাটকর মনে করেন, নেপাল বা ভুটানের সঙ্গে ভারতের এই ধরনের বিরোধে জড়িয়ে পড়ার পেছনে আসলে দুপক্ষেরই দায় আছে। মিস পাটকর বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "বিহার সরকারই বা বাঁধ মেরামতের কাজ এই জুন মাসে, এত দেরিতে শুরু করল কেন? এটা তো অনেক আগে, সেই শীতেই করা দরকার ছিল।" "ফলে তারা যেমন শুধু নেপালকে দোষ দিতে পারে না, তেমনি নেপাল ও ভুটানেরও আরেকটু পরিণতিবোধ দেখানো উচিত ছিল।" "আসলে এই নদী, জলধারা বা হিমবাহ তো কখনও একটা নেশন স্টেটের সম্পত্তি হতে পারে না, সেখানে সবার আগে দাবি মানুষের। সেইটা ভুলে গিয়ে যদি আমরা সেই মানুষগুলোকেই কোণঠাসা করি, সেটা খুবই অন্যায়।" লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাত ও মানচিত্র নিয়ে নেপালের সঙ্গে বিরোধ আগে থেকেই দিল্লিকে অস্বস্তিতে রেখেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, উত্তর সীমান্তের কোনও কোনও অভিন্ন নদীও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এনে হাজির করছে।
অভিন্ন নদীগুলোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচের কাজে জলের ব্যবহার নিয়ে এবার আরও দুই প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ল ভারত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শেখ হাসিনা "রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যখন হাতে এসেছে, সরকার দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করবে। প্রতিটি জনগণ, প্রতিটি নাগরিক অমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবো, সেখানে কোন দল বা মত দেখা হবেনা।" তার প্রায় কুড়ি মিনিটের ভাষণে, শেখ হাসিনা একবারও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনা করেননি। বরঞ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পালায়, প্রতিপক্ষদেরও অন্তর্ভুক্ত করেছেন। "যে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ, নির্বাচনকে তারা অর্থবহ করেছেন।" তবে নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে বিরোধী জোট সহ বিভিন্ন পক্ষের অব্যাহত অভিযোগ নিয়ে একটি কথাও বলেননি শেখ হাসিনা। ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ বিজয় উদযাপনের সমাবেশে, শেখ হাসিনার মূল বার্তা ছিল - তিনি বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবেন, দুর্নীতি দুর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। "আগামী দিনে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ, সোনার বাংলাদেশ, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।" "আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়েও এ দেশকে গড়ে তুলবো বলে নিজেকে উৎসর্গ করেছি...দেশের মানুষ যে বিশ্বাস রেখেছে, তা আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও রাখবো। সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার সমাবেশে এসেছিলেন সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেয়।
নির্বাচনের প্রায় তিন সপ্তাহ পর ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আওয়ামী লীগের 'বিজয় সমাবেশে' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন, তার সরকার দল-মত নির্বিশেষে সবার উন্নয়নে কাজ করবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
শিশুটিকে রক্ষা করার নাটকীয় মুহূর্ত। প্যারিসের এক ফ্ল্যাটবাড়ির পাঁচতলার বারান্দায় ঝুলে থাকা এক শিশুকে রক্ষার করার জন্য সারা দেশ জুড়ে 'স্পাইডারম্যান' মামদু গাসামার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। শনিবার রাতে উত্তর প্যারিসে এই ঘটনা ঘটে। চার বছর বয়সের ঐ শিশুকে রক্ষা করার নাটকীয় ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ তাকে এলিসি প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানান এবং ঘোষণা করেন যে মি. গাসামাকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি তাকে একটি পদক দেয়া হয় এবং ফরাসি দমকল বাহিনীতে তাকে চাকরি দেয়া হবে বলে বলা হয়। নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে শিশুটিকে রক্ষা করার জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগতভাবে তাকে ধন্যবাদ জানান। মি. গাসামা জানান, তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক বাড়ির সামনে প্রচুর ভিড় দেখতে পান। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাথে মামদু গাসামার সাক্ষাৎ। আরও দেখুন: ভাতে চুল: শিশু গৃহকর্মী হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা পাহাড়ে আবারো গুলি: নিহত তিনজন বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কী বললেন সালাহ? এরপর তিনি দেখেন যে পাঁচ তলার ব্যালকনি থেকে শিশুটি ঝুলে রয়েছে। "এরপর আমার চিন্তা করার সময় ছিল না," ফরাসি সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে মি. গাসামা বলেন। ঐ ঘটনা যখন ঘটে শিশুটির বাবা-মা তখন বাসায় ছিলেন না। পুলিশ ঐ ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে। বাইশ বছর বয়সী মামদু গাসামর সাহসিকতার প্রশংসায় যোগ দিয়েছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিডালগো। তিনিও ফোন করে মি. গাসামাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আফ্রিকার দেশ মালি থেকে আসা এক অভিবাসীর বীরত্বের পর ফ্রান্সের সরকার তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নিজামের সোনার টিফিন বাক্স চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল করদ রাজ্যের শাসক নিজামের সোনার টিফিন বাক্স। চার কেজি সোনা দিয়ে তৈরি তিন-স্তরের টিফিন বাক্সটিতে হীরা এবং চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর বসানো - যার মূল্য কয়েক কোটি রুপি । এ ছাড়াও ছিল চুনি-পান্না বসানো একটি সোনার কাপ, বাটি, ট্রে ও চামচ। এসব সামগ্রীর সবগুলোই পাওয়া গেছে ধরা পড়া লোকদুটির কাছে। ফলে হলিউড-স্টাইলের এই চুরি রহস্যের সমাধান হবার পর এখন পুলিশের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে মজার মজার সব তথ্য। যেমন, পুলিশ বলছে হায়দরাবাদের নিজাম নাকি কখনোই সোনার টিফিন বাক্সটি ব্যবহার করেন নি। কিন্তু চোরদের একজন গত কয়েকদিনে খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রতিবারই এই বাক্সটি ব্যবহার করেছে। গত ২রা সেপ্টেম্বর রাতে ওই দু'জন হায়দরাবাদের পুরানি হাভেলির একটি ঘুলঘুলির লোহার গরাদ কেটে ওই জাদুঘরে প্রবেশ করে । "তারা ঠিক যখন সোনার প্রচ্ছদবিশিষ্ট একটি মূল্যবান কোরান শরিফ নিয়ে যাবার জন্য হাত বাড়ায় - ঠিক তখনি কোন একটি মসজিদ থেকে ফজরের আজান শুরু হয়। এতে তারা ভয় পেয়ে যায় এবং কোরান শরিফটি চুরি করা থেকে বিরত হয়" - বলছিলেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার আনজানি কুমার। হায়দরাবাদের নিজাম চুরি যাওয়া জিনিসগুলোতে যে পরিমাণ সোনা আছে তার দামই এক কোটি ভারতীয় রুপির সমান, বলছে পুলিশ। আর দুর্লভ পুরোনো সামগ্রী বা 'এ্যান্টিক' হিসেবে এগুলোর মূল্য তারও অনেকগুণ বেশি । "তাই ধরুন দুবাইয়ের বাজারে এগুলোর দাম ৩০-৪০ কোটি রুপিও হতে পারে" - বলছিলেন পুলিশ প্রধান। এই চোরেরা এতই বুদ্ধিমান ছিল যে জাদুঘরে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকলেও তাতে তাদের প্রায় কোন ছবিই ধরা পড়েনি। কারণ, তারা মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল এবং ক্যামেরাগুলোর মুখ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। একটি ক্যামেরায় তাদের বাইকে চেপে চলে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এতে তাদের চেনার মতো স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ তাদের হদিস পায় নি। হায়দরাবাদের নিজামের প্রাসাদের তোরণ লোক দুটি এর পর মুম্বাইয়ে পালিয়ে যায় এবং একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠে। সেখানে কয়েকদিন তারা বিলাসবহুল জীবন যাপন করে । কিন্তু মূল্যবান জিনিসগুলোর কোন ক্রেতা না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে। হায়দরাবাদে ফিরেআসার পরই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। অভিযুক্ত দু জনের একজনের নাম গাউস, তার বয়েস ২৫ এবং সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ২৬টি মামলার হুলিয়া রয়েছে। তার সঙ্গীর বয়েস অপেক্ষাকৃত কম, কিন্তু ওই ঘটনার সে-ই মূল পরিকল্পনাকারী। জানা গেছে, চুরির আগে তারা ৫-৬ মাস ধরে পরিকল্পনা এবং রেকি বা পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে।
ব্রিটিশ ভারতের করদ রাজ্য হায়দরাবাদের নিজামের যাদুঘর থেকে চুরি যাওয়া মূল্যবান সামগ্রীগুলো উদ্ধার করা হয়েছে মুম্বাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেল থেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজন লোককে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যেমন নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ আসছে, তেমনি পাশাপাশি নানাধরনের ভুয়া খবর এবং অনির্ভরযোগ্য তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে। তবে বিবিসির রিয়ালিটি চেক বিভাগকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ মোকাবেলার জন্য আইবুপ্রুফেন না খাওয়ার পরামর্শই তারা দিচ্ছেন। তবে তারা একথাও বলেছেন যে, যারা শারীরিক সমস্যার জন্য ইতোমধ্যেই আইবুপ্রুফেন খাচ্ছেন, তারা যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ না করেন। আইবুপ্রুফেন অনেকেই খান ব্যথা বা প্রদাহ উপশমের জন্য। সাধারণত জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগার মত উপসর্গ উপশমের জন্য প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই ভাল কাজ করে। তাপমাত্রা কমাতে দুটো ওষুধই উপযুক্ত। কিন্তু তারা বলছেন আইবুপ্রুফেন এবং স্টেরয়েডবিহীন অন্য প্রদাহনাশক ওষুধ সকলের জন্য উপযুক্ত নয় এবং এসব ওষুধ থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে- বিশেষ করে যাদের হাঁপানি, হৃদরোগ এবং রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে । ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বা এনএইচএস-এর ওয়েবসাইটে আগে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাস জ্বরে প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরে তারা এই পরামর্শ বদলিয়ে বলেছে: "আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসকে আরও খারাপ করবে কিনা সে সম্পর্কে জোরালো কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও নেই, তবে যতক্ষণ না আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় প্যারাসিটামল খান। যদি না আপনার চিকিৎসক বলেন যে প্যারাসিটামল আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।" আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আরও ভয়ানক করে তোলে কিনা বা এই ওষুধ খেলে রোগ আরও দীর্ঘায়িত হয় কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যাদের স্বাস্থ্য ভাল কিংবা যাদের কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে তাদের ওপর আইবুপ্রুফেন কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা এখনও অজানা। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ডা. শারলোট ওয়ারেন-গাশ বলছেন, "যাদের কোনধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, তাদের প্যারাসিটামল খাওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হয়।" প্যারাসিটামল দোকানগুলোতে বেশ সহজেই কিনতে পাওয়া যায় ভুয়া খবর- কী দেখেছে বিবিসি কিন্তু ডাক্তারদের পরামর্শ যাই হোক, অনলাইনে নানাধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। ইউরোপে ছড়ানো বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো এসব খবরে দাবি করা হয়েছে: ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একইধরনের খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় এসব খবর যে ফরওয়ার্ড করে, সে দাবি করে যে এই খবর দিয়েছেন চিকিৎসা জগতের সঙ্গে জড়িত কেউ। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের বহু পোস্টে দেখা যায় এসব তথ্য দিচ্ছেন ''পরিবারের একজন ডাক্তার'' যিনি ভেতরের খবর জানেন বলে দাবি করা হয়। আইবুপ্রুফেন ও কোভিড-১৯ কোভিড নাইনটিন রোগের সঙ্গে আইবুপ্রুফেন ওষুধের সম্পর্ক নিয়ে কোন গবেষণা হয়নি। তবে শ্বাসযন্ত্রের অন্য প্রদাহে এই ওষুধের ব্যবহার থেকে দেখা গেছে, ওই ধরনের সমস্যায় আইবুপ্রুফেন রোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বা রোগ আরও মারাত্মক হয়েছে। কিন্তু সেটা শুধু এই ওষুধের কারণে হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন আইবুপ্রুফেনে প্রদাহ নাশক যেসব উপাদান আছে সেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তবে রেডিং বিশ্বদ্যিালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ একথাও বলেছেন যে, "২৫ বছরের একজন স্বাস্থ্যবান তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর আইবুপ্রুফেন খাওয়ার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে বা নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এমন কোন স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ আমি দেখিনি।" ফ্রান্স থেকে এই ওষুধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাসে প্রদাহ-নাশক ওষুধ খাওয়া উচিত কিনা এমন সন্দেহ প্রকাশ করে টুইট করেন যা ৪৩ হাজার বার শেয়ার করা হয়, যদিও তিনি এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেবার কথা বলেছিলেন। এমন টুইটও ৯৪,০০০ বার শেয়ার হয়েছে যেখানে বলা হয় তরুণ, মাঝবয়সী, এমনকী স্বাস্থ্য ঝুঁকি যাদের নেই তাদের জন্যও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আইবুপ্রুফেন মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিবিসির 'রিয়ালিটি চেক' লিখছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে একমত পোষণ না করায় এই আইবুপ্রুফেনের ব্যবহার নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মানুষের কাছে মিশ্র বার্তা পৌঁছেছে এবং অনলাইনে নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। বিবিসির রেচেল শ্রেইয়ার, জ্যাক গুডম্যান এবং অ্যালিস্টেয়ার কোলম্যানের রিপোর্ট
অনলাইনে এমন খবর ঘুরছে যে আপনার করোনাভাইরাস হলে আইবুপ্রুফেন ওষুধ আরও ঝুঁকি তৈরি করবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ক্লেয়ার পোলোসাক সিডনিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। আর সৌরভ গাঙ্গুলির হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে আজ হাসপাতাল ত্যাগের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা দেখা গিয়েছে ভক্তদের মাঝে। পুরুষ টেস্ট ক্রিকেট প্রথম নারী আম্পায়ার পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী ম্যাচ অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন। ক্লেয়ার পোলোসাক সিডনিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে তিনি পুরুষ ক্রিকেটের দায়িত্ব পালন করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা। ২০১৮ সালে নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ১৫টি নারী ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সাকিবের তৃতীয় সন্তানের পোস্ট নিয়ে রহস্য, মিরপুরে অনুশীলনে সাকিব সাকিব আল হাসানের আজকের ছবি, মিরপুর স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান বছরের শুরুতেই চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নিয়ে বিতর্ক, এমনকি তৃতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা দিয়েও সাড়া ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। বছরের প্রথম দিন ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে স্ত্রী উম্মে শিশিরের সাথে সাকিব আল হাসান। ক্যাপশনে লেখেন, "নতুন বছর, নতুন সংযোজন।" কিন্তু তৃতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা কি না সেখানে খোলাসা না করায় সাকিব আল হাসানের ভক্ত ও ক্রিকেট ফলোররা এ নিয়ে দ্বিধায় থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য সাকিব দেশে ফেরেন তেসরা জানুয়ারি। সেখানে তিনি বলেন যে, তৃতীয় সন্তান আসছে। "এর আগেও দুবার বাবা হয়েছি, এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। তবে রোমাঞ্চটা একই রকম আছে। দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসতে পারে।" খেলাধুলায় যা কিছু ট্রেন্ডিং: ফেসবুকে আলোচনার শীর্ষে মুশফিক, গৌতম গাম্ভীরের পোস্ট নিয়ে বিতর্ক ট্রেন্ডিং খেলা: আইসিসির দশক সেরা টিমকে আইপিএলের দল বলছে শোয়েবরা সাকিব 'বিচ মুডে', সাচিন উড়ছেন, বলিউডি সাজে ডেভিড ওয়ার্নার ট্রেন্ডিং খেলা: মেসিতে সয়লাব টুইটার, ভারতকে জেতাতে গোপন বার্তা তৃতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা কি না সেখানে খোলাসা না করায় সাকিব আল হাসানের ভক্ত ও ক্রিকেট ফলোররা এ নিয়ে দ্বিধায় থাকে সপ্তাহ শেষে আজও আলোচনায় আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় দলের জন্য আজ অনুশীলন করতে মিরপুর স্টেডিয়ামে গেছেন সাকিব। সেখানকার নানা ছবি আজ ছিলো আলোচনায়। স্কোয়াডে জায়গা পাননি মাশরাফী সপ্তাহজুড়ে আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেক তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকবেন কি-না এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর এবারে নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাশরাফী বাদ। অনেকেই ধারণা করছেন, এটা মাশরাফীর লম্বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের একরকম ইতিই। মাশরাফীর রাজনৈতিক ও ক্রিকেটীয় যুগপৎ ক্যারিয়ারের দু বছর হয়েছে এ সপ্তাহে। দল থেকে বাদ পড়ার আগের দিন বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন তিনি। মাশরাফী বলেন, যখন যেটা করেন সেটা মন দিয়েই করে থাকেন। 'ব্যস্ততা আছে, থাকবে, এর মধ্যে করোনাভাইরাসের এক বছর গেলো, সবাই প্যানডেমিকের সময় ঘরের ভেতর ছিল, কাজ যখন যেটা ছিল তখন সেটা করেছি, এভাবেই,' রাজনীতি ও খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। পাকিস্তান দলের কান টানতে চান শোয়েব আখতার ওদিকে শোয়েব ক্ষেপেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওপর। প্রথম টেস্টে লড়াই করে হারলেও, দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান হেরেছে ইনিংস ও ১৭৬ রানে। কাইল জেমিসনের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ১১টি উইকেট। পাকিস্তানকে ধুয়ে দিয়েছেন শোয়েব আখতার শোয়েব বলেন, "পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কান ধরে টানার সময় হয়েছে। টেস্ট হেরেছে ব্যাপারটা এমন না। কিন্তু যেভাবে হেরেছে সেটা প্রশ্ন।" টুইটারে আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, পাকিস্তান যা করছে সবই গড়পড়তা। স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছে পাকিস্তান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় সৌরভ গাঙ্গুলি হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সৌরভ বলেন, "আপনাদের সবাইকে এখানে এতদিন ধরে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।" উডল্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল গেটে জড়ো মানুষের জন্য একদিন পর ছাড় পেলেন সৌরভ গাঙ্গুলি দোসরা জানুয়ারি, শনিবার বাড়িতেই ব্যায়াম করার সময়ে হঠাৎ 'ব্ল্যাক আউট' হয়ে যান ৪৭ বছর বয়সী মি. গাঙ্গুলি। সেদিনই গাঙ্গুলির হার্টে ব্লক পাওয়া যায় ও তাঁর হৃদপিন্ডে রিং পরানো হয়। সেদিন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ - সবাই তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। সাচিন টেন্ডুলকার একটি টুইটও করেছেন তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে। সাচিন টেন্ডুলকার একটি টুইট করেছিলেন তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে। সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান কেইন উইলিয়ামসন আলোচনায় ছিলো নিউজিল্যান্ড এবং বিশেষত কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম টেস্ট খেলার ৯০ বছর পর নিউজিল্যান্ড টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর জায়গায় উঠেছে। কেইন উইলিয়ামসন এখন বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে কেইন উইলিয়ামসন সবার সেরা।
বছরের শুরুর দিনেই তৃতীয় সন্তানের আগমন উপলক্ষে সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রীর পোস্ট নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের টেস্টে ম্যাচে প্রথম কোন নারী আম্পায়ারের বিষয়টি নিয়ে সপ্তাহটি শেষ হয়।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চলতি মাসের শুরুতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় স্টেশনে দিনকয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছিলেন, দার্জিলিংয়ে অস্থিরতা সৃষ্টিতে চীনের মদত আছে - এখন তার প্রশাসনেরই এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আঙুল তুললেন নেপালের মাওবাদীদের দিকে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অবশ্য দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে - দার্জিলিংয়ের সাংবাদিকরাও বলছেন পাহাড়ের অস্থিরতায় বাইরের মদত আছে এখনও তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। বস্তুত দার্জিলিং পাহাড়ে যে হিংসা চলছে তাতে যে দেশের বাইরের নানা শক্তির মদত আছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা প্রমাণ করতে চেয়েছে একেবারে গোড়া থেকেই। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যেমন প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন এই অস্থিরতায় চীনের ভূমিকা আছে বলে তাদের জোরালো সন্দেহ - এবং দার্জিলিং-নেপাল সীমান্তের কাছে চীন তাদের প্রভাব বিস্তারেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সেদিন বলেন, "কেন সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়? আজ চীনকে আক্রমণ করার আগে আমি যদি ছোট্ট একটা প্রশ্ন করি ... দার্জিলিংয়ের কাছে পশুপতির গেট - সেখানে চারশো স্কুল খোলা হয়েছে চীনা ভাষা শেখানোর জন্য! তো কেন্দ্রীয় সরকারের সশস্ত্র সীমা বল কিংবা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা র কী করছিল?" ভারত-চীন সংঘাতের মধ্যে চীনের নাম এভাবে টেনে আনাটা যে কেন্দ্রীয় সরকার ভালভাবে নেয়নি, পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে তা বুঝিয়েও দিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে এরপরও বাইরের শক্তিগুলোর দিকে আঙুল তুলছে - রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অনুজ শর্মার কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তারা খবর পেয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাশের দেশগুলো থেকে মাওবাদী যোদ্ধাদের ভাড়া করছে এবং তারা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কীভাবে সরকারি সম্পত্তি ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাতে হবে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার শীর্ষস্থানীয় নেতা ও দার্জিলিংয়ের বিধায়ক অমর সিং রাই বিবিসি বাংলাকে বলেন, "রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে - কারণ তারা আমাদের দেশদ্রোহী, সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গী বলে প্রমাণ করতে চায়। এটা পুরোপুরি স্বত:স্ফূর্ত একটা জনআন্দোলন - আর তাতে আমাদের একটাই দাবি, আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠন।" পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে দার্জিলিংয়ের প্রবীণ সাংবাদিক সুরাজ শর্মাও বলছেন মুখ্যমন্ত্রী বা তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে সব অভিযোগ তুলছেন তার সঙ্গে তারা অন্তত বাস্তবের কোনও মিল পাননি। তিনি বলছিলেন, "সরকার বোধহয় একটা ইউটোপিয়ায় থাকেন বলে এসব আজেবাজে কথা বলেন। পশুপতির সঙ্গে আমাদের যে সীমান্ত, তার ধারেকাছেও কোনও চীনা ভাষা শেখানোর স্কুল নেই। আর নেপালের মাওবাদীরা তো কবেই রাজনীতির মূল ধারায় ঢুকে গিয়ে সরকার চালাচ্ছেন - সেখানে তা মাওবাদের অস্তিত্ত্বই নেই। ফলে কীভাবে এসব অভিযোগ আসতে পারে?" এই আন্দোলনে বাইরের কোনও শক্তি উসকানি দিচ্ছে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রমাণ নেই বলেই তার দাবি। "দেখুন, এই আন্দোলনে নেতারা নেই। তারপরও মানুষ রোজ রাস্তায় নামছে। খাবার নেই, কিছু নেই - তা সত্ত্বেও এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোজ আরও বেশি বেশি করে মানুষ মিছিলে বেরোচ্ছে। এই আন্দোলন তাদের ওপর কেউ চাপিয়েও দেয়নি - ফলে এটাকে তো স্বত:স্ফূর্তই বলতে হবে, তাই না?", বলছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রগুলো অবশ্য বলছে, গোর্খা বিক্ষোভকারীরা যেভাবে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করছে তাতে মাওবাদীদের সিগনেচার স্পষ্ট। তবে সুরাজ শর্মা জানাচ্ছেন, গত ৩৮ দিন ধরে চলা বিক্ষোভে গোর্খারা এখনও কোথায় বন্দুক বা গোলাগুলি ব্যবহারই করেনি। "যত সংঘর্ষ হচ্ছে এখানে, পাথর ছুড়েই আন্দোলনকারীরা তার জবাব দিচ্ছে। আমরা কিন্তু ঢিল বা গুলতির বদলে অন্য কোনও অস্ত্রশস্ত্র তাদের ব্যবহার করতে দেখিনি। তিস্তা ভ্যালিতে একটা ঘটনা ঘটেছিল - পুলিশ অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালায়, সেই বন্দুকও কিন্তু বিক্ষোভকারীরা গিয়ে কাছের চা-বাগানে গিয়ে জমা দিয়ে দেয়। অস্ত্র লুঠ করার উদ্দেশ্য থাকলে তারা তো সেগুলো নিয়েই নিতে পারত", বলছিলেন সুরাজ শর্মা। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে চার-পাঁচ বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর ও অন্যান্য জেলায় মাওবাদীদের মোকাবিলায় নেমেছিল, দার্জিলিংয়েও তারা ঠিক সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এখন এগোতে চাইছে। সেই সব অপারেশনের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা মনোজ ভার্মাকে দার্জিলিংয়ের পুলিশ-প্রধান করে পাঠানো হয়েছে, সঙ্গে জঙ্গী-দমন অভিযানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আরও অনেককেই। আরো পড়তে পারেন: প্রিন্সেস ডায়ানার শেষ ফোন নিয়ে দুই ছেলের 'অনুতাপ' 'সিদ্দিকুরের এক চোখের দৃষ্টি ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ' হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান?
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যে অস্থিরতা চলছে, তাতে আন্দোলনকারী গোর্খারা হিংসা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে মাওবাদীদের ভাড়া করেছে বলে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় করে তুলতে যাদের ভূমিকা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চু তাদের একজন। সকাল সোয়া নটার দিকে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। ছবির কপিরাইট End of Facebook post, 1 আইয়ুব বাচ্চুর বহুদিনের ঘনিষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মইনুদ্দিন রাশেদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তাঁর সহকারী সকালে মগবাজারের বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আরো পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সংগীতশিল্পীদের প্রতিক্রিয়া আইয়ুব বাচ্চু: গিটারিষ্ট পরিচয়ই বড় আইয়ুব বাচ্চুর ভাই এরফান চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি তার মগবাজারের বাসায় একাই থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়নি। হাসপাতালে তার সতীর্থ শিল্পী, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করে আছেন। শনিবার চট্টগ্রামে দাফন পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার শারমিন রমা হাসপাতাল থেকে জানাচ্ছেন কাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শনিবার চট্টগ্রাম শহরে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হবে। আইয়ুব বাচ্চু একই সাথে গায়ক ও লিড গিটারিস্ট হিসেবে বহু মানুষের প্রিয় শিল্পী। বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় করে তুলতে যাদের ভূমিকা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চু তাদের একজন। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তার প্রফেশনাল মিউজিক ক্যারিয়ারের শুরু। ৯০ এর দশকের শুরুতে তিনি তাঁর নিজের ব্যান্ড এলআরবি প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগে তিনি আর এক জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস এর সাথেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। আরো পড়ুন: দুর্গা পূজা যেভাবে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো যে কারণে বি চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল আবারো সামরিক শক্তি অর্জনের পথে জার্মানি
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু আজ সকালে মারা গেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে জবাবে তিনি বলছেন, '' আমরা দুইটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে।'' ''লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটির কথা আমরা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে সেটা প্রতিরোধ করার কার্যক্রম নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটা সারা বাংলাদেশব্যাপী ট্রান্সমিশন হয়েছে, এরকম কোন পরিস্থিতি এখনো হয়নি।'' তিনি বলছেন। কম্যুনিটি সংক্রমণ প্রশ্নে এর আগে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ''যখন কোন সংক্রমক রোগের বিস্তার এমনভাবে ঘটে যে, তার উৎস সম্পর্কে তথ্য জানা যায় না, যেমন কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে যখন বিদেশফেরতদের সংস্পর্শ ছাড়াই একজন ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির শরীরে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে, হয়তো কাজ বা কেনাকাটা করতে গিয়ে, অথবা এমন মানুষের মধ্যে ছড়ায় যারা মনে করেন যে, তারা আক্রান্ত হয়নি, এভাবে রোগটি ছড়িয়ে পড়লে তখন তাকে কম্যুনিটি সংক্রমণ বলা হয়। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের মতো ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পূর্ব ইতিহাস পাওয়া যায়, যেমন তিনি বিদেশে ভ্রমণ করেছেন কিনা অথবা বিদেশি বা বিদেশফেরত কারো সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তখন পর্যন্ত সেটিকে কম্যুনিটি সংক্রমণ বলা যাবে না।'' বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের কম্যুনিটি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, সার্স ভাইরাসের মহামারী কম্যুনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে হয়েছিল। বুধবার সকালে যিনি মারা গেছেন, তিনি ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি তাঁর এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ তারিখ থেকে তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর বয়স ছিল ৬৫। তাঁর ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন ছিল বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে. সংক্রমিতদের মধ্যে আরো দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সুস্থ হয়েছেন। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯জন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন সাতজন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৭জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪৭জন। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার কেন্দ্র আরো বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। আইইডিসিআরের যোগাযোগের জন্য ০১৯৪৪৩৩৩২২২ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে হান্টিং নম্বরের মাধ্যমে অন্যান্য নম্বরে টেলিফোনটি চলে যাবে। এছাড়া ১৬২৬৩ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে। তিনি আবারো স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়গুলো মেনে চলার অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হলো। তবে এই প্রথম সংস্থাটি স্বীকার করে নিলো যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে হলেও কম্যুনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে সংস্থাটি ধারণা করে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি গুমের ঘটনায় বিক্ষোভ তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে বসুন্ধরা এবং শাহীনবাগ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া মোট আট জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন সুমন। এসব ঘটনাকে তারা 'গুম' হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তারা জানতে পেরেছেন, বিশেষ পুলিশ র‍্যাবের গাড়িতে করেই এদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে একথা অস্বীকার করা হয়। সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, কোন খবর নেই তার ভাইয়ের। "আমরা জিডি করতে চাইলে জিডি নেয়া হয়নি। আমরা কয়েক দফায় সবগুলো প্রশাসনিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি, অনেকগুলো প্রেস কনফারেন্স করেছি। কোন সদুত্তর পাইনি। তাদের কথা 'দেখছি', 'খুঁজছি' এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।" বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশে অন্তত ৩৬টি এবং গত আট বছরে ৩৩০ টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গুমের শিকার মানুষদের অধিকাংশকে আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই পটভূমিতে আজ পালিত হচ্ছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে গুমের শিকার মানুষদের খুঁজে বের করার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সুমনের সাথে একই দিন গায়েব হওয়া অন্য সাতজনের মধ্যে দুজনের আত্মীয়রা মামলা করেছেন 'নিখোঁজ' হিসেবে উল্লেখ করে। তাদের কথা হলো, 'গুমের' অভিযোগ আনলে পুলিশ মামলা নেয় না। এসব ব্যক্তিদের স্বজনেরাও এখনো অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এদের মধ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মী আছেন, তার বাইরেও অনেকে আছেন। ২০১৪ সালের মার্চে কুমিল্লায় নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় যুবলীগ নেতা কাজি রকিবুল হাসানকে। তার পিতা কাজি আবদুল মতিন অভিযোগ করছেন, র‍্যাব সদস্যরাই গাড়িতে করে তাকে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করেও তিনি তার ছেলের সন্ধান পান নি। তিনি র‍্যাব সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন বলে জানান, তবে এতে এখনো কোন অগ্রগতি হয় নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একজন পরিচালক নূর খান বলছেন, গত আট বছরে এরকম গুম হওয়া তিন শতাধিক মানুষের অধিকাংশের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো জানা যায় নি। নূর খান কলেন, "খুব স্বল্প সংখ্যক লোক ফিরে এসেছে, কিছু লোকের লাশ পাওয়া গেছে, অন্য কিছু লোককে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।" তিনি বলেন, যারা ফিরে এসেছেন, তারা যে বিভীষিকাপূর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন তা নিরাপত্তার জন্যই প্রকাশ করা যাবে না। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলছেন, গুম হওয়ার পেছনে সরকারের কোন হাত নেই। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন "গুমের ঘটনার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত নয়। কোন গুম আমাদের এখানে হয় না, তারা আত্মগোপন করে।" কিছুকাল আগে বিএনপির একজন নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হবার পর তাকে ভারতে পাওয়া যাবার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আর্থিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণে অনেকে আত্মগোপন করে, আর লোকে মনে করে যে সে গুম হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, এধরণের কথিত 'গুমের ঘটনার' বেশিরভাগ লোককেই পরে উদ্ধার করা হয়েছে বা তারা ফিরে এসেছেন। মি. খান বলেন, "মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অনেক সময় আটকের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা এসব কর্মংকান্ড করে। এগুলো কি গুম নাকি? তবে পুলিশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের উদ্ধার করেছে, সত্য উদ্ঘাটন করেছে।" গুমের শিকার অনেকের পরিবার থেকে সরকারি বাহিনীর গাড়ি ব্যবহার করেও এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়, সে ব্যাপারে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সরকারি বাহিনী যাদের এ্যারেস্ট করেন তাদের সময়মতই আদালতে তোলা হয়। মি. খান বলেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেসব কথা বলছে তা তারা অনেকসময় না জেনেই বলছে। গুম শব্দটা এক্ষেত্রে 'এপ্রোপ্রিয়েট' বা যথাযথ নয় - বলেন মন্ত্রী।
ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হবার পর উনিশ মাস পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোন খবর মেলে নি স্থানীয় বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নেপালি মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং, যিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, নারীদের ব্যাপারে খুব স্পর্শকাতর বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন এবং তার এই মন্তব্যের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কাছে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত ২০শে জুলাই এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং বলেছিলেন, "মেডিকেলের উপর যারা বাংলাদেশে লেখাপড়া করতে যায়, সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্যে তাদেরকে সেখানে নিজেদেরকে বিক্রি করতে হয়।" তার এই মন্তব্য নেপালে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া নেপালি শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। নেপালি শিক্ষার্থীরা বলেন, কোন ধরনের তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই মন্ত্রী তাদের ব্যাপারে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। "তিনি কি কখনো বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া নারী শিক্ষার্থীদের কাছে এব্যাপারে খোঁজ নিয়েছিলেন? আমরা সেখানে কতো কষ্ট করে লেখাপড়া করি তার তিনি কিছুই জানেন না,'' বলেন ড. রোজি মানান্ধার, যিনি বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে সম্প্রতি নেপালে ফিরে গেছেন। ''কোন ধরনের প্রমাণ ছাড়াই তিনি একথা বলেছেন। কঠোর পরিশ্রম করেই আমি আমার সার্টিফিকেট পেয়েছি," তিনি বলেন। আরো পড়তে পারেন: হলি আর্টিজান:আইএস সম্পৃক্ততা 'না থাকা' নিয়ে বির্তক বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম এত বেশি কেন? যেভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে বাংলাদেশের চাষের মাছ ওই অনুষ্ঠানেই মন্ত্রী তামাং বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসা কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিনি এধরনের অভিযোগের কথা শুনেছেন। তবে তিনি এও বলেছেন যে এসব অভিযোগের সত্যতা তিনি নিজে কখনো যাচাই করে দেখেন নি। কাঠমান্ডু থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সঞ্জয় দাখাল জানিয়েছেন, মন্ত্রী প্রথমে পদত্যাগ করতে চান নি। কিন্তু পরে তার দল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের ভেতরেই তার উপর প্রচণ্ড রকমের চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে এবং একারণেই শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। মন্ত্রী তামাং এর এই মন্তব্যের কারণে নেপালের সোশাল মিডিয়াতে তার তীব্র সমালোচনা হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অনেকেই লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিবিসির নেপালি বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী তার এই মন্তব্যের জন্যে ক্ষমাও চেয়েছেন। সিলেটের একটি মেডিকেল কলেজে পঞ্চম বর্ষে পড়ছেন এমন একজন শিক্ষার্থী সাব্বু পোখারেল বলেছেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া নারী শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের চাপের মধ্যে লেখাপড়া করে না। "মন্ত্রীর একথা শোনার পর আমার বাবা মা আমাকে ফোন করে এখানকার অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার অবস্থা মোটেও সেরকম কিছু নয়। বাংলাদেশে আমরা খুব নিরাপদে আছি," বলেন পোখারেল। বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রচুর বিদেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন। তাদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নেপালি শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়তে যাওয়া নেপালি নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার পর চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আজ সংঘর্ষ হয়েছে হাইকোর্ট এলাকায়। (ফাইল ছবি) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল নামক ওই সংগঠনটি মূলত প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করলেও অনুষ্ঠানের পর হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের লিপ্ত হয় তারা। হাইকোর্টের সামনে কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকেও দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, অনেকটা হঠাৎ করেই দুপুরে হাইকোর্ট এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে প্রজন্ম দলের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি প্রেসক্লাব এলাকা থেকে কয়েকটি ছোট মিছিল এগুতে থাকে হাইকোর্ট এলাকার দিকে। এসময় হাইকোর্টের প্রধান প্রবেশপথ থেকে মাজার গেট পর্যন্ত এলাকায় তাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক অবস্থান নেয় তারা। তাদের হাতে এসব খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়াও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন দেখা গেছে। সড়কে অবস্থান নেয়ার ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় হঠাৎ করে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশও মারমুখী হয়ে উঠে বলে সেসময় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন। এরপর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের সাথে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপি সমর্থকরা বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে ও রাস্তায় আগুন জ্বালায়। কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শেষ পর্যন্ত বেলা আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া: রাজনৈতিক যত সফলতা এবং ভুল খালেদা জিয়াকে কত দিন জেলে থাকতে হতে পারে? খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন না: বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপিপন্থী একটি সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঐতিহাসিক সাক্ষাত: কিন্তু এর কৃতিত্ব আসলে কার, এ প্রশ্ন করছেন অনেকেই কেউ কেউ দাবি করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট দুজনেই একমত যে - উত্তর কোরিয়ার সাথে শান্তি আলোচনার কৃতিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই প্রাপ্য। এর জবাবে অনেকে বলছেন, এই আলোচনায় আসলে কি প্রভাব ফেলেছে, তা শুধু ঐতিহাসিক দলিলপত্র থেকেই প্রতীয়মান হবে, তবে তথ্যপ্রমাণ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে দক্ষিণ কোরিয়াই উত্তরের সাথে আলোচনাকে উৎসাহিত করেছিল, আর এর সাথে ছিল চীনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার চাপ। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে কোরিয়া উপদ্বীপে পরিবর্তনের আভাসের কৃতিত্ব নেবার আভাস দেন অনেক আগেই। এ বছরই জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, 'ব্যর্থ 'বিশেষজ্ঞ'-রা এ নিয়ে নানা কথা বলছে। কিন্তু আমি যদি শক্ত অবস্থান না নিতাম এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগের অঙ্গীকারের কথা প্রকাশ না করতাম - তাহলে এ সংলাপ-আলোচনা হতো এমন কথা কি কেউ বিশ্বাস করবে?' দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনও এ কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন, যে উত্তরের সাথে এই শান্তি আলোচনা হবার পেছনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পে বড় কৃতিত্ব পাওনা আছে। তার কথায় 'মার্কিন-নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা ও চাপের ফলেই' এটা সম্ভব হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-আন এ বছরই মে বা জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে - যা হবে উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার সাথে ক্ষমতাসীন কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক। হয়তো এ আলোচনা কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা কমিয়ে আনবে, ৬৮ বছরের পুরোনো কোরিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে একটি শান্তি চুক্তিও হতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়া কেন পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে? কোরিয়া যুদ্ধে '২১ দিনে মারা যাবে ২০ লাখ লোক' উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালে তাদের প্রথম পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। তার পর থেকে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর বহু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে - যার অনেকগুলোই মার্কিন প্রস্তাবে। এর পর দিন দিন এসব নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর থেকে কঠোরতর হয়েছে। কিন্তু যা উত্তর কোরিয়াকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে তা হলো চীনের অবস্থান পরিবর্তন - কারণ উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় চীনের সাথে। এর আগে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো চীন খুব কমই প্রয়োগ করতো। কিন্তু গত বছর থেকে চীন এসব নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে শুরু করে বলে মনে করা হয়। কৃতিত্ব দাবি করে ট্রাম্পের টুইট এবছর ২রা জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করেন, কিম জং আন যে তার ডেস্কে সর্বক্ষণ পারমাণবিক বোতাম থাকার কথা বলেন, এই খেতে-না পাওয়া দেশটির শাসককে কি কেউ জানিয়ে দেবেন যে আমারও একটা পারমাণবিক বোতাম আছে যা আরো অনেক বড়, আরো ক্ষমতাশালী। মি. ট্রাম্পের আগে দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জর্জ বুশও অবশ্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা বলেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বতন প্রেসিডেন্টদের কেউ কেউ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নীতির কথা এবং অন্যরা আলোচনা কথা বলেছেন। দুজন দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট উত্তরের নেতার সাথে বৈঠক করেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সময় এবার শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের আসা এবং এক পতাকার নিচে প্যারেড করাটা ছিল এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এর কৃতিত্ব দিচ্ছে? এ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ভার্জিনি গ্রেলচিক বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া কৌশলগতভাবে কাজ করেছে। তারা আমেরিকানদের একটা সংলাপের জাগায় আনতে চেয়েছে, কারণ দুই কোরিয়ায় একটা পর্যায়ে আমেরিকার নীতি দেখে কিছুটা ধাঁধায় পড়ে গেছে এবং উদ্বিগ্ন বোধ করেছে। আরো পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত?
উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নেতার মধ্যে যখন ঐতিহাসিক বৈঠক হচ্ছে - তখন একটা প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন - এটা যে শেষ পর্যন্ত সম্ভব হলো - তার কৃতিত্ব আসলে কার?
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
২০১৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে এই মিছিলটি করেন লাহোরের বাসিন্দারা যেখানে তারা পাঞ্জাবি ভাষাকে গুরুত্ব দেবার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। (ফাইল চিত্র। কিন্তু ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে যে দেশটির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবার দাবীতে ফুঁসে উঠেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ, সেই পাকিস্তানে কি এই দিনটি পালিত হয়? কিভাবে হয়? করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১শে ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। কিছু সেমিনার হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। প্রভাত ফেরীর আয়োজনও দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে একটি সাহিত্য উৎসবও হয়েছে বলে জানাচ্ছেন মি. আহমেদ। কিন্তু কেন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে উল্লেখ করেছন তিনি। কেবল ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারনা রয়েছে তাদের। দেশটির পাঠ্যক্রমেও এ বিষয়ক পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মনির আহমেদ। বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ পাকিস্তানে ৬৫ থেকে ৭২টির মতো বিভিন্ন ভাষার চর্চা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এই সবগুলো ভাষার সঠিক চর্চা এবং সব গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ নেই। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে একুশের আবেগ নেই কেন? পাহাড়ে মাতৃভাষায় প্রথম পাঠ্যবই, সংকট শিক্ষকের বাংলাদেশে ভাষা ব্যবহারের কী অবস্থা এখন? বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ভুলের ছড়াছড়ি কেন?
জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী গত বেশ কয়েক বছর ধরে সারা পৃথিবীতেই ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
গর্ভাবস্থায় ভায়াগ্রা পরীক্ষা নিরীক্ষার জেরে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত এগারটি নবজাতক শিশু নেদারল্যান্ডসে একটি সমীক্ষায় অংশ নেয়া এসব নারীদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিলো। শিশুদের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে এ পরীক্ষা নিরীক্ষা। মূলত দুর্বল ভ্রূণের শিশুদের বেড়ে ওঠার উন্নতি ঘটাতেই ঔষধটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেখা গেছে ঔষধটি দেয়ার পর রক্ত প্রবাহ বেড়ে ওই শিশুদের ফুসফুসের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে কি ঘটেছে সেটি জানতে বিস্তারিত তদন্তের দরকার। সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়েছে কি-না তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: আমেরিকায় মহিলাদের ভায়াগ্রা ঘুমের পজিশনের সাথে মৃত সন্তান প্রসবের সম্পর্ক বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি, কিন্তু গর্ভধারণে বাপের বাড়ি? হিমালয় অঞ্চলের ভায়াগ্রা। গর্ভে অপরিপক্ক শিশু: চিকিৎসা আছে? এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এ ধরনের পরীক্ষার সম্ভাব্য ক্ষতির কোন প্রমাণ পায়নি। কিন্তু তারা কোনো সফলতাও পায়নি। তবে সে সময় ২০১০ সালে গবেষকরা বলেছিলেন এ চিকিৎসা শুধুমাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষাতেই প্রয়োগ করতে। গর্ভবতী ভ্রূণ বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা একটি গুরুতর অবস্থা যার বর্তমানে কোন চিকিৎসা নেই। এরফলে অনেক অপরিপক্ব শিশুর জন্ম হয়। যাদের ওজন থাকে খুব কম ও তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও হয় অনেক কম। ঔষধই হতে পারে একটি উপায় যাতে করে এসব অসুস্থ শিশুর জন্ম নেয়ার সময় প্রলম্বিত করা যায় বা ওজনের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো যায়। সর্বশেষ সমীক্ষায় কি হয়েছে? সর্বশেষ ডাচ সমীক্ষাটি চলার কথা ২০২০ সাল পর্যন্ত। আমস্টার্ডম ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারসহ নেদারল্যান্ডসের এগারটি হাসপাতালে এটি চলার কথা। মোট ৯৩জন নারীকে স্লাইডনাফিল (ভায়াগ্রার একটি নন ব্রান্ড নাম) আর নব্বই জনকে 'ডামি ড্রাগ' দেয়া হয়। এর মধ্যে বিশটি শিশুর ফুসফুস সমস্যা দেখা দেয় জন্মের পর যার সতের জনের মাকেই স্লাইডনাফিল দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যেই এগারটি শিশুর মৃত্যু হয় ফুসফুস জটিলতায়। ডাচ সমীক্ষার এমন ফল কে অপ্রত্যাশিত বলেছেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুল ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক যারকো আলফায়ারভিচ। "আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। একটা বিস্তারিত তদন্তও দরকার কারণ জটিলতাগুলো দুজনের মধ্যে দেখা যায়নি।"
গর্ভাবস্থায় ভায়াগ্রা পরীক্ষা নিরীক্ষার জেরে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত এগারটি নবজাতক শিশু।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
৩০ বছর আগের এই ছবিটি একসময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও, কারো জানা ছিল না ছবির নারীর পরিচয় ছবিটি তুলেছিলেন আলফ্রেড ইজোবযাদেহ। দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইট সাহোর গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছিল। কিন্তু ছবির সেই নারীর পরিচয় এই এতো বছরেও কারো জানা ছিল না। তবে এই এতো বছর পর তার পরিচয় জানা গেছে। তার নাম মিশেলাইন আওডা। আরো পড়তে পারেন: 'সৌদি আরবে নারী শ্রমিকের পরিবেশের পরিবর্তন হচ্ছে' সাইবেরিয়ার গহীনে রুশরা যেভাবে গড়েছিল বিজ্ঞাননগরী ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ১৯৮৭ সালে 'ইন্তিফাদা' বা গণজাগরণের আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। ওই আন্দোলনে ১৪০০জন ফিলিস্তিনি আর ২৭১জন ইসরায়েলি নিহত হয়। ২০০০ সালে দ্বিতীয় দফার ইন্তিফাদা শুরু হয়েছিল, যাতে মারা যায় ৩৩৯২জন ফিলিস্তিনি আর ৯৯৬জন ইসরায়েলি। প্রথম ইন্তিফাদায় অংশ নিয়েছিলেন তখনকার তরুণী মিশেলাইন। তখন তার পরনে ছিল কালো স্কার্ট, হলুদ স্কার্ফ আর হলুদ স্যান্ডেল। তিনি একজন ফিলিস্তিনি খৃষ্টান। ওই ঘটনার দিন তিনি ছিলেন সেখানকার চার্চে। শেলাইন আওডার বয়স এখন ৬৩, তিনি পশ্চিম তীরের একটি হোটেলে চাকরি করেন মিশেলাইন বলছেন, '' সেদিন আমার বিশেষ একটি ম্যাসের অনুষ্ঠান ছিল, তাই ওরকম কালো পোশাক পড়েছিলাম। সেদিন কোন বিক্ষোভ হবে বলে ভাবিনি।'' ''কিন্তু আমি দেখতে পেলাম, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসে তরুণদের সঙ্গে লড়াই শুরু করেছে। আমি সেই তরুণদের সঙ্গে তখনি যোগ দিলাম।'' তিনি স্মরণ করছেন। ''এক সময় আমি দৌড়াতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু স্যান্ডেল পড়ে দৌড়াতে পারছিলাম না বলে সেগুলো খুলে হাতে নিলাম।'' তিনি বলছেন, ''একসময় নিচু হয়ে একটি পাথর ছুড়ে ইসরায়েলিদের দিকে ছুড়ে মারলাম। কিন্তু আমি জানতাম না কেউ আমার ছবি তুলছে।'' মিশেলাইন আওডার বয়স এখন ৬৩। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে চাকরি করেন। তার দুই সন্তান রয়েছে, কিন্তু তিনি চান না, তারা আবার এরকম কোন সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ুক। হলুদ স্যান্ডেল হাতে ছবিতে বিখ্যাত হলেও, এখন অবশ্য তার আর কোন হলুদ রঙের স্যান্ডেল নেই। বিবিসি বাংলার আরো খবর: জেরুসালেমে 'ট্রাম্প স্টেশন' বানাবে ইসরায়েল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের 'যৌনদাসী' বিতর্ক কেন আবার সামনে ক্রিকেটারদের 'বিপ টেস্ট' মূলত কী? বিটকয়েন নিয়ে সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
হলুদ স্যান্ডেল হাতে নিয়ে কালো পোশাকের একজন ফিলিস্তিনি নারী ইসরায়েলি পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারছে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই ছবিটি ৩০ বছরের পুরনো।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নিজের হৃদপিণ্ড ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ান যে নারী শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। সালহা হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী যার শরীরের বাইরে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড লাগানো হয়েছে। হৃদপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের চিকিৎসকরা তার শরীরে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। যতদিন তিনি একজন হৃদপিণ্ডের ডোনার না পাচ্ছেন, ততদিন তাকে এটি বয়ে বেড়াতে হবে। এই ব্যাগের মধ্যেই থাকে সেলহা হোসেইনের হৃদপিণ্ড সালহা হোসেইন বলছেন, ''আমার মেয়ের বয়স যখন ছয় বছর, একদিন সকালে বুকে ভয়াবহ ব্যথা শুরু হয়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। আমি বুঝতে পারছিলাম এটা মারাত্মক কিছু হয়েছে।'' ''দ্রুত হাসপাতালের যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানালেন, আমার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু আমি এতটাই অসুস্থ ছিলাম, তারা আমার আমাকে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড সংযোজন করে দিতে বাধ্য হয়।'' এই বহনযোগ্য যন্ত্রটি তার শরীরের রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে। কিন্তু কিভাবে সেটি কাজ করে? নানা টিউবের মধ্য দিয়ে শরীরের রক্ত এই কৃত্রিম হৃদপিণ্ড এসে পরিশোধিত হয়ে আবার টিউবের মাধ্যমে শরীরে চলে যায়। তার শরীরের ভেতরেও এরকম প্লাস্টিকের কৃত্রিম হৃদপিণ্ড রয়েছে, যেগুলো সত্যিকারের হৃদপিণ্ডের মতোই রক্ত পাম্প করে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পাঠিয়ে দেয়। শরীরের ভেতরে থাকা একটি প্লাস্টিকের পাম্প মেশিন রক্ত সঞ্চালন করে শরীরের বিভিন্ন অংশে পাঠিয়ে দেয় সালহার মতো যুক্তরাজ্যে কয়েকশত রোগী আছেন, যারা হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের সবাই সময়মত ডোনার পাননা। ২০১৬/১৭ সালে এরকম অপেক্ষার তালিকায় থাকা ৪০জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড স্থাপনের পর সালহার চিন্তাভাবনায় বড় পরিবর্তন এসেছে। ''মৃত্যু শয্যায় শুয়ে অনেক কিছুই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। তার একটি হল যেসব বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি, এই যেমন বয়লার সমস্যা, গাড়ির সমস্যা বা মানুষের সমস্যা, এগুলো আসলে কিছুই না। আমি এখন জীবনকে আরো ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছি" বলছেন সালহা হোসেইন। আরো পড়ুন: সন্ধ্যায় 'সুপার ব্লু ব্লাড মুন' কিন্তু এর মানে কী? দিনে কি দশ হাজার কদম হাঁটতেই হবে? রহস্যময় 'প্রশ্ন' পেয়ে 'হতচকিত' চীনের শিক্ষার্থীরা যে সফটওয়্যার হয়তো মৃত্যুর খবর দিতে পারবে
ব্রিটেনের বাসিন্দা সেলহা হোসেইনের শরীরে সত্যিকারের কোন হৃদপিণ্ড নেই। সেটি সবসময় থাকে তার সঙ্গের ব্যাগে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
প্রতি বছর ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে বহু মানুষ সাগরে ডুবে মারা যায়। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে একটি জাহাজ। "আল্লাহ আমাদের বাঁচাতে জেলেদের পাঠিয়েছিলেন," বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে বাংলাদেশের সিলেট থেকে ইউরোপের পথে শুরু হয়েছিল তার এই বিপদজনক যাত্রা। আহমেদ বিলাল এখন আছেন তিউনিসিয়ার উপকূলীয় শহর জারজিসে রেড ক্রিসেন্টের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে। নিজে বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার দুজন আত্মীয়। তাদের জন্য কান্না থামাতে পারছেন না তিনি। তাদের নৌকা যখন পানিতে ডুবে গেল, তখন মোট ১৬ জনকে সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করে এই জেলেরা। আহমেদ বিলাল সেই সৌভাগ্যবানদের একজন। কিন্তু আরও প্রায় ৬০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশি। সিলেট থেকে ইউরোপের পথে ৩০ বছর বয়সী আহমেদ বিলালের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। সেখান থেকে উন্নত জীবনের আশায় তিনি ইউরোপের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন দালালদের মাধ্যমে। পারিবারিক জমি বিক্রি করে তিনি দালালের হাতে এজন্যে তুলে দেন সাত হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ। এই দালালকে তিনি চেনেন 'গুডলাক' ছদ্মনামে। "এই দালাল আমাকে বলেছিল, আমরা বেশ ভালো জীবনযাপন করতে পারবো। আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।আমি নিশ্চিত যত লোককে সে এভাবে পাঠায়, তাদের বেশিরভাগই মারা যায়।" আহমেদ বিলাল: এখন আছেন তিউনিসিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের এক আশ্রয় কেন্দ্রে। ছয় মাস আগে তাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে তারা যান দুবাই। সঙ্গে ছিল আরও দুজন। সেখান থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে। বিলাল জানান, ত্রিপলিতে আরও প্রায় ৮০ জন বাংলাদেশি তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর পশ্চিম লিবিয়ার কোন একটা জায়গায় একটি রুমে তাদের তিন মাস আটকে রাখা হয়। "আমার মনে হয়েছিল, আমি লিবিয়াতেই মারা যাব। আমাদের দিনে মাত্র একবার খাবার দেয়া হতো। অনেকসময় তারও কম। আশি জন মানুষের জন্য সেখানে টয়লেট ছিল একটি। আমরা শৌচকর্ম পর্যন্ত করতে পারতাম না। আমরা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করতাম।" নৌকায় বিপজনক যাত্রা একদিন তাদের উত্তর-পশ্চিম লিবিয়া থেকে একটি বড় নৌকায় তোলা হয়। এরপর সাগরের মাঝে তাদের আরেকটি ছোট নৌকায় তোলা হয়। আহমেদ বিলালের সঙ্গে ঐ একই নৌকায় ছিলেন একজন মিশরীয় নাগরিক মনজুর মোহাম্মদ মেতওয়েলা। তিনি জানান, এই ছোট নৌকাটি সাথে সাথে ডুবে যেতে শুরু করে। "আমরা সারারাত ধরে সাঁতার কেটে ভেসে থাকি।" আরও পড়ুন: ইটালি যেতে গিয়ে সাগরে ডুবে বহু বাংলাদেশী নিহত শরণার্থী, অভিবাসী, আশ্রয় প্রার্থী - দেশ ত্যাগ করা মানুষের ভিন্ন নামকরণ কেন? লিবিয়ার উপকুলে সাতশো অভিবাসী বোঝাই নৌকাডুবি বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, তাদের সহযাত্রীদের সবাই ছিলেন পুরুষ। এর মধ্যে ৫১ জন ছিলেন বাংলাদেশের। তিন জন মিশরের। এছাড়া মরক্কো, শাদ এবং আরও কয়েকটি আফ্রিকান দেশেরও কয়েকজন ছিলেন। বিলাল বলেন, "বেঁচে থাকার সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর আল্লাহ যেন আমাদের বাঁচাতে এই জেলে নৌকা পাঠালেন।" সাগর থেকে যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ১৪জনই বাংলাদেশি। জেলেরা মোট ১৬ জনকে উদ্ধার করেন যাদের ১৪ জন বাংলাদেশি। বাকী দুজনের একজন মরোক্কোর, একজন মিশরের। রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মনজি স্লিম বলেন, "যদি তিউনিসিয়ার জেলেরা এদের দেখতে না পেত, এদের কেউই আসলে বাঁচতো না এবং এই ঘটনার কথাও হয়তো আমরা জানতে পারতাম না।" এই বেঁচে যাওয়া মানুষদের সামনে এখন তিনটি পথ খোলা আছে। তারা হয় নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, অথবা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে আশ্রয় চাইতে পারে। অথবা তিউনিসিয়াতেই তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে পারে। "আমরা তো সবকিছু হারিয়েছি। আমার এখন কিছুই নেই", বলছেন বিলাল। তিনি এখনো ইউরোপেই যেতে চান, যাতে করে সেখানে গিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ভূমধ্যসাগরে আহমেদ বিলালের চোখের সামনেই একে একে ডুবে যাচ্ছিল অনেক সহযাত্রী। তিনি নিজেও ঠান্ডা পানিতে ডুবে মারার উপক্রম হয়েছিল। তারপর একদল জেলে এসে উদ্ধার করলো তাকে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ বল করে একটি উইকেট পান মাশরাফী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কবে বা কোথায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন সেটা নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। ২০১৮ সালে অনেকে ধারণা করছিলেন ২০১৯ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার পর ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মাশরাফী। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছাড়া মাঠে না নামলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময় সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি মাশরাফী। মাশরাফী বিন মোত্তর্জা, বাংলাদেশ জাতীয় ওডিআই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং সরকারদলীয় এমপি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট চলাকালীন নানা সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা মূল কথা নয়, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন এবং নির্বাচকরা যদি তাকে ফিট মনে করে তাহলে তিনি জাতীয় দলে খেলা চালিয়ে যাবেন। নিজের অবসর নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি মাশরাফী। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ বল করে একটি উইকেট পান মাশরাফী মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? মি. নাজমুল হাসান পাপন বলেন, "এরপর দলে থাকতে চাইলে অন্য ক্রিকেটারদের মতো ফিটনেস প্রমাণ করে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পর নির্বাচকরা যথেষ্ট মনে করলে মাশরাফী জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন।" ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এক মাসের মধ্যে নতুন অধিনায়ক ঠিক করা হবে বলেও জানান নাজমুল হাসান পাপন। সাকিব আল হাসানকে প্রথম পছন্দ হিসেবে রাখলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তার কথা আপাতত মাথায় আনছে না জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টি টোয়েন্টি সিরিজ ছাড়া টানা হারছে। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, "কোনোভাবেই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মেনে নেয়া যায় না, অনেকে বলছে জিম্বাবুয়ের সাথে জয় পাওয়া সহজ হবে কিন্তু ততটা সহজ হবে না।" মার্চ মাসের ১, ৩ ও ৬ তারিখ তিন টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। তিনটি ম্যাচের ভেন্যুই সিলেট।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার শেষ সিরিজ, আজ ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এ কথা বলেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জার্মানির বিল্ড পত্রিকার ওয়েবসাইট "অপমান," "বিশৃঙ্খলা" "লজ্জা" - জার্মানির পত্র-পত্রিকার শিরোনামগুলোতে দল সম্পর্কে এসব বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে। ছাপা হয়েছে পরাজয়ের পর হতাশ, বিমর্ষ, উদভ্রান্ত জার্মান দলের ফুটবলারদের ছবি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জার্মানি গত ৩৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম হারলো। তাও আবার যে দলটি গতবারের শিরোপাধারী। শেষবার তারা প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে। আলজেরিয়া পশ্চিম জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। জার্মানির সর্বাধিক বিক্রিত সংবাদপত্র বিল্ড তাদের পাতাজোড়া শিরোনামে লিখেছে -" বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিশৃঙ্খল রক্ষণভাগ.. বিশ্বকাপে তাদের টিকে থাকাই এখন প্রশ্ন।" বিল্ড আরো লিখেছে, "মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।" তাদের ওয়েবসাইটে বিল্ড লিখেছে - "মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বিব্রতকর পারফরমেন্সের পর বিশ্বকাপ নিয়েই আমরা এখন উদ্বিগ্ন।" বার্লিনের দৈনিক মরগেন পোষ্ট লিখেছে -"পথ হারিয়েছে জার্মানি।" বিভ্রান্ত, হতাশ টমাস মুলার ফ্রাংকফুটার আলগেমাইনে পত্রিকায় কোচ ইয়াকিম লো'র কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। "লো কোনোভাবেই তার পরিকল্পনা বদলাতে চান না। আর তার ফলে জার্মানি এখন চাপে।" কেন লো দ্রুতগতির উইংগার মার্কোস রিউসকে বসিয়ে রেখে শ্লথগতির মেসুত ওজিলকে খেলালেন তা নিয়ে প্রশ্ন করছে পত্রিকাগুলো। কেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা লিরয় সানেকে তিনি দলেই নিলেন না তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মিউনিখ থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র জুডডয়েচে সাইটুং লিখেছে, "অতীতের কৌশল সবসময় কাজ করেনা। গত ১২ বছর ধরে তিনি (লো) যা করছেন, তা আর চলতে পারেনা।" আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ইতিহাস বদলে দিতে পারতো ভিএআর? ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গান জনপ্রিয় কিভাবে হল?
বিশ্বকাপে রোববারের ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে তাদের চ্যাম্পিয়ন দলের পরাজয়ে ক্ষোভ, হতাশা এবং অপমান উগরে দিচ্ছে জার্মান মিডিয়া।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গতকাল বিধ্বস্ত হওয়া ভারতীয় বিমানের ধ্বংসাবশেষের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর দু'জন। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের একটি সামরিক কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০জন সেনা সদস্য নিহত হয়। পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-এ মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। এদিকে গত ২৬ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনী দাবি করে, তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাটিতে বিমান হামলা করেছে এবং জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এর পর থেকে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে। তবে সেই হামলায় কোন ধরনের হতাহত হয়নি দাবি করে পাকিস্তান জানায় তারা ভারতীয় বিমানটিকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। যাওয়ার সময় বালাকোট নামক স্থানে বোমাগুলো ফেলে যায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। আরো পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ? এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মাইকেল পম্পেও দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেন। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, "আমি দুদেশের মন্ত্রীদেরই বলেছি যেন ভারত ও পাকিস্তান ধৈর্য নিয়ে যেকোনো মূল্যে খারাপ পরিস্থিতি এড়িয়ে চলে।" "আমি তাদেরকে [ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের] বলেছি যেন তারা সরাসরি যোগাযোগকে গুরুত্ব দেয় এবং পরবর্তীতে যেকোন সামরিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত থাকে।" এমন বিবৃতির পরের দিনই গতকাল কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর ভারত আর পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গোলার আঘাতে পাকিস্তানের তিনজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছেন ১১ জন। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বাহিনীর ছোঁড়া গোলায় পাঁচজন ভারতীয় সৈনিকের আহত হওয়ারও খবর আসে। পরে পাকিস্তান দাবি করে তারা দুটো ভারতীয় বিমানকে ভূপাতিত করেছে এবং একজন পাইলটকে আটক করেছে। অপরদিকে ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের একটি বিমান ভূপাতিত করেছে। এর ফলে সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ফাইল ফটো)। এদিকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সাথে আলাপ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামে গিয়েছেন। তারপরও এই সংকট নিরসনে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করছেন অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের প্রধান অধ্যাপক ররি মেডকাল্ফ। গতকাল সংঘাতের এক মুহূর্তে তিনি এক টুইটবার্তায় বলছেন: "বিশ্বের জন্য জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন সবচেয়ে যে ভাল কাজটি করেছিলেন সেটি সম্ভবত ২০০২ সালে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসন করা।" "২০০২ সালে রিচার্ড আর্মিটেজ এর সুক্ষ্ম কূটনীতির কথা স্মরণ করছি। আমার সন্দেহ আছে যুক্তরাষ্ট্র এখনকার পরিস্থিতিতে একই ভূমিকা পালন করতে সক্ষম কি-না," লিখেন তিনি। এবার তেমন কোনও উদ্যোগ কেন দেখা যাচ্ছেনা - বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই‌ মুহূর্তে কোনরকম উদ্যোগ নেয়ার বিভিন্ন রকম সমস্যা আছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় বজায় রাখতে হচ্ছে, কারণ এখন আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে যে আলোচনাটা হচ্ছে সেটা পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে, বলছেন তিনি। "পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পক্ষে এমন কোন অবস্থান নিতে পারবে না যেটা শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনাটা ভণ্ডুল হয়ে যায়।" তিনি জানান, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সখ্য এখন এমন অবস্থায় যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোন অবস্থান বা পাকিস্তানের পক্ষপাত করার কোন সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নেই। "ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের যে অবস্থা তাতে আমার মনে হয় তারা অপেক্ষা করছে, যে দুপক্ষই যদি কোনভাবে ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারে, তাহলে হয়তো পরবর্তীতে তারা পরোক্ষভাবে দুপক্ষকেই এক ধরনের আলোচনায় আনতে চেষ্টা করবেন," মত আলী রিয়াজের। এদিকে মস্কোর কর্তৃপক্ষও দুই দেশের সাথে যোগাযোগ করে উভয়কে 'সংযত থাকতে' বলেছে। বর্তমানের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রথায় সমাধান করতে হবে বলে রাশিয়া মনে করছে। চীন এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নও একই ধরনের মতামত প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে সবসময় যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছিলব বলে জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু চলমান সংকট নিরসনে আমেরিকা কী করতে পারে - তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
লখনৌ শহরের মূল বাণিজ্যিক এলাকা হজরতগঞ্জ, যেখানে প্রায় সব দোকানই 'শত্রু সম্পত্তি' দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, যে সব শত্রু সম্পত্তিতে মামলার জটিলতা নেই - প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে সেগুলোর তালিকা তৈরি করে নিলামে তোলা হচ্ছে। এই 'পাইলট প্রোজেক্ট' সফল হলে অন্যান্য রাজ্যেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। দেশভাগের পর কিংবা পঁয়ষট্টি ও একাত্তরের যুদ্ধের সময় যারা ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, সেদেশে তাদের ফেলে যাওয়া জমি-বাড়িকেই ভারত সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে থাকে। তিন বছর আগে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে শত্রু সম্পত্তির ওপর ওয়ারিশদের দাবি জানানোর অধিকারও অনেকটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসেরে এমপি সৌগত রায় দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শত্রু সম্পত্তির 'হেফাজতকারী' বা অভিরক্ষক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এই ধরনের সম্পত্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে - প্রায় হাজার পাঁচেক। এর পরেই সবচেয়ে বেশি শত্রু সম্পত্তি আছে পশ্চিমবঙ্গে, ২৭৩৫টি। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বা ভারত-চীন যুদ্ধের সময় দেশত্যাগীদের ফেলে যাওয়া এসব সম্পত্তি বেচে সরকার অন্তত এক লক্ষ কোটি রুপি তুলতে পারবে বলে ধারণা করা হয় - যার প্রথম পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হচ্ছে। শত্রু সম্পত্তি নিয়ে সংসদীয় বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত লোকসভা এমপি সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, "সারা দেশে সবচেয়ে বেশি শত্রু সম্পত্তি আগে ছিল মেহমুদাবাদের রাজার।" "তার ছেলে যখন পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে ভারতের নাগরিকত্ব নেন এবং সেই সব সম্পত্তির উত্তরাধিকার দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে যান, তখন সরকার বিরাট বিপদে পড়ে।" "কারণ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তাকে তাহলে ফিরিয়ে দিতে হত, লখনৌ শহরের মূল বাণিজ্যিক এলাকা হজরতগঞ্জের সব দোকানের ভাড়াটে খালি করতে গেলে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।" এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার বছরতিনেক আগে শত্রু সম্পত্তি আইন সংশোধন করে। নতুন আইনে বলা হয়, সরকার কোনও শত্রু সম্পত্তির দখল নিলে তার দাবিদার বা উত্তরাধিকারীরা আপিল করার জন্য মাত্র দুমাস সময় পাবেন - তাও সেটা হতে হবে সরাসরি কোনও হাইকোর্টে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ দর্শনা মিত্র বিবিসিকে বলছিলেন, এধরনের সম্পত্তির দখল ফিরে পাওয়া ভারতের আইনে ক্রমশই কঠিন করে তোলা হয়েছে। তার কথায়, "প্রথমে কিন্তু এই আইনটার নাম ছিল ইভ্যাকুয়ি প্রোপার্টি ল, অর্থাৎ দেশত্যাগীদের সম্পত্তি আইন - যে নামকরণ থেকে এর উদ্দেশ্যটাও বোঝা সহজ।" মো: সালিম ইঞ্জিনিয়ার "সেই আইনটার লক্ষ্যও ছিল পরিষ্কার। দেশভাগের সময় যারা ভারত থেকে ছিটকে গেছেন তাদের সম্পত্তি কোনও একজন কাস্টডিয়ানের জিম্মায় থাকবে, যতক্ষণ না তিনি ফিরে এসে নিজের সম্পত্তি আবার বুঝে নিচ্ছেন।" "কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ইভ্যাকুয়িরাই এখন দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।" "মানে দেশভাগের কারণে এই মুলুক ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন - এই দৃষ্টিতে আগে যাদের দেখা হত, একটার পর একটা ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে তাদেরকেই এখন সরাসরি শত্রু বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।" "আগে ইভ্যাকুয়ি-রা যত সহজে নিজেদের সম্পত্তি ফিরে পেতে পারতেন, এখন সেটাকে ক্রমশ অনেক অনেক বেশি কঠিন - প্রায় অসম্ভব - করে তোলা হয়েছে", বলছিলেন দর্শনা মিত্র। এবং সামান্য কয়েকজন চীনা বংশোদ্ভূতকে বাদ দিলে এই তথাকথিত 'শত্রু'রা যেহেতু প্রায় সবাই মুসলিম, তাই ভারতের অনেক মুসলিম সংগঠনই মনে করে শত্রু সম্পত্তি আইন আসলে একটি মুসলিম-বিদ্বেষী পদক্ষেপ। ভারতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শত্রু সম্পত্তির তালিকা মুসলিম সংগঠণ জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: সালিম ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, "স্বাধীনতা বা যুদ্ধের সময় যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা কিন্তু অনেকেই নিজেদের জমি-বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বা ওয়ারিশদের বসিয়ে গিয়েছিলেন।" "পরে তারা নিয়মমাফিক সেই সম্পত্তির দখলও নিয়েছেন।" "কিন্তু আইন পাল্টে দিয়ে সরকার আসলে একটি বিশেষ সম্প্রদায় - মুসলিমদেরই নিশানা করতে চেয়েছে। প্রশাসন তাদের বৈধ সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নিতে চাইছে।" তবে এই ধরনের প্রতিরোধ উপেক্ষা করেই ভারত সরকার এখন জোরশোরে শত্রু সম্পত্তি বেচার উদ্যোগ নিয়েছে। সারা দেশে এরকম প্রায় হাজার দশেক সম্পত্তি নিলামে তুলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত মাসেই একটি প্যানেল গড়ে দিয়েছেন - যারা তাদের প্রথম প্রোজেক্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫০ জনকে পাওয়ার আশা ত্যাগ অনেকেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বিয়ের পাত্রী হিসেবে প্রথা ভেঙে যৌনকর্মীর জানাজা পড়ালেন মসজিদের ইমাম দেওবন্দ 'সন্ত্রাসবাদের গঙ্গোত্রী', বললেন ভারতের মন্ত্রী সিরিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিলেন তুরস্কের এরদোয়ান
ভারতে 'শত্রু সম্পত্তি' হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন জমি-বাড়ির প্রথম দফার নিলামের প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ দাম কমে এমন জায়গায় এসেছে গত কয়েকবছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ এমন দামে ইলিশ পাতে তোলার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারতো না। গত ২০শে মে থেকে ২৩শে জুলাই, টানা ৬৫ দিন ইলিশ আরোহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মৎস্য অধিদফতর। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারও অনেক আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ইলিশ মাছ ধরার স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতো দীর্ঘ বিরতির পর ২৩শে জুলাই রাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে জেলেরা ট্রলার, বোট বোঝাই করে ইলিশ ধরতে থাকে। দীর্ঘসময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সেইসঙ্গে এ বছরের বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে এবং ইলিশ আগের চাইতে বেশি ধরা পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার পর্যায়ক্রমে কিছু পদক্ষেপ হাতে নেয়ার কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করেন ইলিশ গবেষক নিয়ামুল নাসের। সবার আগে তিনি জাটকা ও মা ইলিশের বিচরণক্ষেত্র সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে আনেন। ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নদী থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ মাছ বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে এ আদেশ অমান্য করলে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ কারণে এখন আর আগের মতো বছরব্যাপী অবাধে ইলিশ আহরণের সুযোগ নেই। ইলিশের উৎপাদন বাড়ার কারণ হিসেবে মি. নাসের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নদীর পানির গুনাগণ ও প্রবাহ ইলিশের প্রজননের জন্য এখনও অনুকূলে আছে। এ কারণে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে স্রোতযুক্ত মিঠাপানির নদীতে এসে ডিম ছাড়ে। তিনি বলেন, "ইলিশ মাছ জুলাই মাসের দিকে সমুদ্র থেকে নদীতে আসতে শুরু করে। এ সময় তারা পদ্মার দিকেই আসে। কারণ পদ্মার পানির স্তর ও গভীরতা অন্য নদীর চাইতে তখন বেশি। এ কারণে এতো বেশি মাছ পাওয়া যায়।" এছাড়া সামুদ্রিক নিম্নচাপ এবং সাইক্লোনের একটা প্রভাব থাকার কারণেও ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। কেননা ওই সময়টায় জেলেরা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারেনা। এই সময়ে ইলিশ বড় হতে সময় পায়। তবে নদীর প্রবাহ ও গভীরতা দিন দিন কমে আসার কারণে এই ইলিশের আহরণ টেকসই থাকবে কিনা সেটা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের এই নদীগুলো প্রচুর পলি বয়ে আনায় নদীর তলদেশ প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। এভাবে পলি জমতে জমতে যদি নদীর গভীরতা ও পানি প্রবাহ কমে যায় তাহলে ইলিশ আর নদীতে আসতে চাইবে না বলে আশঙ্কা ইলিশ গবেষকদের। এই ইলিশ মূলত সমুদ্র থেকে ছোট ছোট শাখা নদীর মাধ্যমে বড় নদীগুলোয় প্রবেশ করে। সেই ছোট শাখার অনেকগুলো পলি জমে বন্ধ হতে থাকায় ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রচুর জোগান থাকায় বাজারে ইলিশের দাম কমে গেছে আরও পড়তে পারেন: ইলিশ গাইড: নদীর ইলিশ যেভাবে চিনবেন অস্বাভাবিক হারে ধরা পড়ছে ইলিশ, এটা কি নতুন মৌসুম? ইলিশ কি মিঠা পানির মাছ হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশে আসছে ইলিশের নুডলস এবং স্যুপ ইলিশের 'জীবন রহস্য' কীভাবে এর উৎপাদন বাড়াবে? এছাড়া কীটনাশক ও শিল্প কারখানার কেমিকেল নদীতে ফেলার কারণে যে দূষণ হচ্ছে সেটাও মাছের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে জানান মি. নাসের। ইলিশের উৎপাদন টেকসই রাখতে নদীর পাশাপাশি সমুদ্রেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। "সমুদ্রের কোন অংশে ইলিশ বিচরণ করে সেটা গবেষণার মাধ্যমে বের করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যে জাটকাগুলোকে আমরা নদী থেকে সমুদ্রে পাঠাচ্ছি, সেটা যেন সমুদ্রে টিকে থাকতে পারে এজন্য ইলিশের বিচরণক্ষেত্রে নো ট্রলার জোন করতে হবে''। ইলিশ উৎপাদনের বিষয়টি জলবায়ুর ওপরেও অনেকটা নির্ভর করে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো কারও একার পক্ষে সম্ভব না। এক্ষেত্রে সমুদ্র ও নদীতে ইলিশের বিচরণক্ষেত্র রক্ষার ওপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে গত দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলেরা ট্রলার ও নৌকা ভর্তি করে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছেন। আর বাজারগুলো সয়লাব হয়ে গেছে ইলিশে। দামও তুলনামূলকভাবে গেছে কমে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বিদ্যুতের তার আর বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটির নীচে প্রতিস্থাপনের পর সড়কের দৃশ্য প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বেড়াতেও যান এই শহরে। কিন্তু হঠাৎ করেই ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে এই শহর। কারণ ডিজিটাল স্মার্ট প্রকল্পের অধীনে সিলেটই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম ঝুলে থাকা তার আর বৈদ্যুতিক খুঁটিবিহীন শহর। ইতোমধ্যে শহরের দরগা গেইট এলাকার সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সব তারের জঞ্জাল ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে পুরো এলাকাটি পেয়েছে একটি ভিন্নরূপ, বলছেন শহরটির একজন অধিবাসী কানিজ ফাতেমা। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে খুঁটিগুলো সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বিবিসিকে বলছেন, পাইলট প্রকল্পের অধীনে দরগা গেইট থেকে আম্বরখানা সড়ক সহ দরগা এলাকা থেকে সব বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। "পুরো এলাকা এখন দৃষ্টিনন্দন রূপ পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো শহর থেকে তার আর খুঁটি সরিয়ে নেয়া হবে। বিদ্যুতসহ সব পরিষেবার লাইন নেয়া হবে মাটির নিচ দিয়ে। এ কার্যক্রম এখন চলমান রয়েছে"। তিনি বলেন মাজার এলাকায় কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকী কাজ চলছে। বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের খুঁটি ও তার সরিয়ে মাটির নীচে প্রতিস্থাপন করছে আর সিটি কর্পোরেশন তাতে সহযোগিতা করছে বলছে জানান তিনি। সিলেটের সাংবাদিক আহমেদ নূর বিবিসি বাংলাকে বলছেন, কর্তৃপক্ষ যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে মাজার এলাকা, আম্বরখানা থেকে বন্দর বাজার, জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্রা পর্যন্ত আবার চৌহাট্রা থেকে বাগবাড়ী এবং শাহজালাল উপশহরের কয়েকটি ব্লক এ প্রকল্পের আওতায় খুঁটি ও তারমুক্ত করার কাজ চলছে। তিনি বলেন পূর্ব দরগা গেইট থেকে শাহজালাল মাজার পর্যন্ত - পুরো মাজার এলাকা হয়ে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক খুঁটি ও তারমুক্ত হয়ে যাবে। তার আর খুঁটিহীন সড়ক বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল? সিলেটের গ্রীন গ্যালারির স্টেডিয়াম আসলে কেমন? কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিলেট সুপরিচিত চা-বাগান, পাহাড় টিলা এবং মাজারের শহর হিসেবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভিডিও ফুটেজ : বাস 'চালাচ্ছে' হনুমান বাসের যে ৩০ জনের মত যাত্রী ছিলেন, তারা কোনো অভিযোগ করেননি। কিন্তু বাসের স্টিয়ারিং হনুমানের হাতে তুলে দেওয়ার ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ হয়ে পড়লে বাস কোম্পানি সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়। কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেন, 'বানরকে স্টিয়ারিং তুলে দিয়ে' যাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে হনুমানের বাস 'চালানোর' ভিডিওটি দেখার পর বাস কোম্পানির দেওয়া শাস্তির প্রতি সমর্থন দেখাননি বহু মানুষ। টুইটারে পরাগ হেদা নামে একজন লিখেছেন, "চমৎকার। কেন সাসপেন্ড করা হলো? তাকে সাবধান করে ছেড়ে দেওয়া যেত।" প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন একজন যাত্রী হনুমানটিকে নিয়ে বাসে ওঠেন। কিন্তু অন্য কোথাও না বসে হনুমানটি সোজা চালকের সামনে গিয়ে বসে। চালক এম প্রকাশ ততটা না ভেবে তার নতুন বন্ধুকে স্টিয়ারিং হুইলের ওপর বসিয়ে দেন। তবে বলতেই হবে যে চালক এম প্রকাশের একটি হাত সবসময় স্টিয়ারিং ওপরেই ছিল। হনুমানটিরও তীক্ষ্ণ একাগ্র নজর ছিল রাস্তার ওপর। জানা গেছে, গন্তব্যে পৌঁছে 'চালক' হনুমান প্রকাশের হাতে স্টিয়ারিংয়ের দায়িত্ব বুঝে দিয়ে নেমে যায়।
ভারতের কর্ণাটকে হনুমানকে বাস 'চালাতে' দেওয়ার অপরাধে একজন চালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার কাইলি জেনার। কার্দাশিয়ান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ আয় করেছেন প্রসাধনীর ব্যবসা থেকে। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী 'কাইলি কসমেটিকস' এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনবছর আগে তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে আনুমানিক ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রসাধন বিক্রি করেছে। এর আগে ২৩ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। "আমি এরকম কিছু আশা করিনি। আমি ভবিষ্যৎ অনুমান করিনি।" "কিন্তু স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে, মনে হচ্ছে কেউ উৎসাহ দিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলো", ফোর্বসকে বলেন মিজ. জেনার। তালিকা অনুযায়ী, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তি। আরো পড়তে পারেন: বাড়িতে পোষা সিংহের হাতে নিহত যুবক যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে মি. বেজোসের মোট মূল্য ৯.১ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৭ ট্রিলিয়নে নেমেছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণও গত এক বছরে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গতবছর ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস সংশ্লিষ্ট কেলেঙ্কারির কারণে ফেসবুকের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। বিশ্বের সকল বিলিয়নিয়ারদের এই তালিকায় নারীর সংখ্যা মাত্র ২৫২ জন। স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান চীনের ওউ ইয়াজুন, যার আনুমানিক মূল্য ৯.৪ বিলিয়ন ডলার। এবারই প্রথম স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিলিয়নিয়ার নারীর সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ৭২ জনে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৫৬। ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে কার কত সম্পদ আছে সে অনুযায়ী ফোর্বসের এই বিলিয়নিয়ারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ঐ দিন সারাবিশ্বে মূদ্রার বিনিময় হার এবং স্টকের মূল্য বিচার করে করা হয় তালিকাটি। ফোর্বস বলছে - ২০১৯' বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫৩ জন, যেখানে ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২,২০৮। বিশ্বের শীর্ষ দশজন ধনীর তালিকায় রয়েছনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। বিলিয়নিয়ারদের গড় মূল্য ৪.১ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ফোর্বসের মতে, এই বিলিয়নিয়ারদের ৯৯৪ জনের সম্পদের পরিমাণই আগের বছরের চেয়ে কমেছে। এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের নাগরিক রয়েছেন ৫২ জন - যাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীচান্দ হিন্দুজা এবং গোপিচান্দ হিন্দুজা। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিন্দুজা গ্রুপের কর্ণধার এই দুই ভাইয়ের মোট মূল্য ১৬.৯ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়নিয়ার রয়েছেন ৬০৭ জন, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন, যাদের বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩২৪ জন। তবে চীনা বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। নতুন ৪৪ জন চীনা নাগরিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কিন্তু ১০২ জন তালিকা থেকে বাদও পরেছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় থাকা ২৪৭ জন বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৈধ হ্যাকিং করে কোটিপতি যে কিশোর
ফোর্বস পত্রিকার বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন কাইলি জেনার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা বা ধর্মীয় পোশাক পড়তে বাধ্য করা ‘অসদাচরণ‘ বলে গণ্য করা হবে। এর আগে হাইকোর্টের পক্ষ থেকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে মহিলাদের বোরকা পরতে বাধ্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়৻ একটি রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ঐ আদেশ দেয়৻ বাংলাদেশের মূলত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বোরকা, হিজাব বা নেকাব পড়ার বিষয়টি চালু রয়েছে। অনেক জায়গায় এ ধরনের পোশাক পড়া সামাজিক রীতি হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা পরতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে। নাটোরের একটি কলেজের একজন ছাত্রী তানিয়া সুলতানা বলেন তাদের কলেজে বোরকা পরার জন্য অধ্যক্ষ চাপ প্রযোগ করেন। তিনি বলেন, যেসব ছাত্রী বোরকা না পরে কলেজে যেত তাদের বের করে দেওয়া হতো। তানিয়া সুলতানা বলেন এমন পরিস্থিতিতে অনেক মেয়ে কলেজ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তানিয়া সুলতানা বলেন, “তিনি (কলেজ অধ্যক্ষ) যদি বুঝিয়ে আমাদের বোরকা পড়ে আসতে বলতেন তাহলে ভিন্ন কথা। আমরা সেটি মানব কি মানব না সেটি আমাদের বিষয়।” তিনি অভিযোগ করেন হিন্দু ধর্মবলম্বী ছাত্রীদেরও অনেক সময় বড় সুতির ওড়না জড়িয়ে আসতে হত । শুধু গ্রামাঞ্চলে নয়, শহরের অনেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাধারণ স্কুল পোশাকের বাইরে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরার নিয়ম রয়েছে - যেমন ছাত্রীদের এ্যাপ্রোন পরা কিংবা বাধ্যতামূলক হিজাব বা বড় ওড়না পরা। শহরের একটি নামকরা স্কুলের একজন ছাত্রীর অভিভাবক নাজমা আনোয়ার সরকারের পদক্ষেপকে যুক্তিসঙ্গত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “পর্দা করা একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার৻ বাধ্য করা ঠিক হবে না ৻ ভেতরে যদি কেউ খারাপ কাজ করে তাহলে উপরে পর্দা করলেই তো হবে না।” দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক গোলাম সরওয়ার বলেন , একসময় তার স্কুলে বোরকা পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও এখন আর সেটি নেই। বাধ্যতামূলক না হলেও সামাজিক রীতি হিসেবে বোরকা পরার বিধান চালু আছে বলে তিনি জানান। প্রধান শিক্ষক গোলাম সরওয়ার বলেন, “আমাদের এলাকা কিছুটা ইসলামী মনোভাবাপন্ন। সেজন্য অনেকে বোরকা পরে স্কুলে আসে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার যা চাইবে তাই হবে। আমি স্কুলে নোটিস দিয়ে দেব যে বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয়।” এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে মাদ্রাসাও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে। তিনি বলেন, “মাদ্রাসাতেও ছাত্রীদের স্বাধীনতা থাকবে। তারা যদি মনে করে বোরকা পরবে আর যদি মনে না করে তাহলে পরবে না। কিন্তু সেজন্য বাধ্য করা যাবে না।” শিক্ষামন্ত্রী বলেন ধর্মের নামে কোন পোশাক পড়ে আসার বিষয়টি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে স্বাধীন পোশাক পরা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না । শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেন আকবর হোসেন৻
বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না বলে এক সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছে৻
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অপারেটর ও বিশেষজ্ঞসহ এ খাতের অনেকেই মনে করেন সিমের মতো মোবাইল নাম্বার নকল প্রতিরোধে মূল ভূমিকা রাখতে হবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই। তাহলে এখন কি মোবাইল নাম্বারও নিরাপদ নয়? সাম্প্রতিককালে সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার থেকে কল যায় বিভিন্ন নম্বরে। অফার দেয়া হয় টাকার বিনিময়ে নানা সুবিধার। কেউ কেউ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন আবার কারও কারও মনে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহেরও জন্ম দেয়। একসময় অভিযোগ আসে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাবের কাছে এবং তাদের তদন্তে উঠে আসে মোবাইল নাম্বার জালিয়াতি করে অর্থ হাতিয়ে নেবার অভিনব উপায়। র‍্যাব -৪ এর অধিনায়ক বলেছেন, এ ধরনের জালিয়াতির সাথে জড়িত ১৪ জনকে সহায়ক নানা উপকরণ সহ আটক করেছেন তারা। কিন্তু কিভাবে একজনের মোবাইল নাম্বার তার অগোচরে নকল করে আরেকজন ব্যবহার করতে পারে ? জবাবে র‍্যাব -৪ এর অধিনায়ক মিস্টার লুৎফুল কবীর বলেন আগে সিম ক্লোন করতো আর এখন শুধু নাম্বারটা ক্লোন করে ফলে সিমের মালিক টেরই পায় না। "এটা ডেডিকেটেড সার্ভার প্রভাইডার দিয়ে করা হয়। আমেরিকা হয়ে বাংলাদেশের গেটওয়ে দিয়ে এই নকল নাম্বার দিয়ে কল বাংলাদেশে ঢুকে"। তিনি বলেন যারা পরিচালনা করে তারা প্যাকেজ আকারে এটা বিক্রি করে। যার একটা স্মার্ট ফোন আছে সে অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারে। মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে নিলে সহজভাবেই নাম্বার নকল সম্ভব। কিন্তু মিস্টার কবীরের সাথে পুরোপুরি একমত নন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন অপারেটরদের মধ্য থেকে কারও সহায়তা ছাড়া এটা করা সহজ হওয়ার কথা নয়। আর গেটওয়ে অপারেটরদেরকে অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে কলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাদেরকেও এ ধরনের জালিয়াতি নাম্বার থেকে কল আসা প্রতিরোধে সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোনের চীফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হাসান বলছেন এখানে অপারেটরদের তেমন আর কিছুই করার নেই। তিনি বলেন ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরদের বরং আরও পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখন মোবাইল ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে প্রায় চার বছর আগে মোবাইল সিম ক্লোন হচ্ছে অর্থাৎ একই নাম্বারের আরেকটি সিম জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মানুষকে সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছিলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপি। বেশ কিছু পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ফোনে অন্য প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের নম্বর থেকে ফোন করে নানা আদেশ নির্দেশ দেয়ার ঘটনা তদন্ত করে তখন সিম নকলের প্রমাণ পেয়েছিলো পুলিশ। অপারেটর ও বিশেষজ্ঞসহ এ খাতের অনেকেই মনে করেন অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে সিমের মতো মোবাইল নাম্বার নকল প্রতিরোধে মূল ভূমিকা রাখতে হবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই। আর তাদের এটি করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত সহায়তা নিয়েই। আর এটি করা সম্ভব হলেই নিরাপদ থাকবে মোবাইল নাম্বারগুলো, বন্ধ হবে নিজের অগোচরে মোবাইল নাম্বার অন্যের ব্যবহারের সুযোগ। আরও পড়ুন: প্রেমিকার গায়ে আগুন, পরে ঐ আগুনে আত্মহত্যা প্রেমিকের রক্তাক্ত কিশোরকে দেখে শুধু ভিডিও করলো পথচারীরা ছাত্রদের মানবসেতুতে হাঁটার আরেকটি ছবি নিয়ে বিতর্ক খালি পেটে লিচু: ভারত ও বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর কারণ
বাংলাদেশে এক সময় মোবাইলে সিম নকল বা ক্লোন করে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিলো। এখন র‍্যাব বলছে শুধু মোবাইল নাম্বার নকল করছে একটি চক্র, যা নাম্বারটির প্রকৃত মালিক জানতেই পারছেনা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
তাদের গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো তাদের নাম, কোন ধর্ষণ মামলার তারা অভিযুক্ত এসব তথ্য। এছাড়া চিরকুটে আরও লেখা ছিল 'ধর্ষকের ইহাই পরিণতি' এমন একটি বাক্য। এর মধ্যে ঝালকাঠি জেলাতেই পাওয়া যায় দুটি মরদেহ এবং এগুলো একই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত দু'ব্যক্তির। প্রথমে সজল জমাদ্দারের মরদেহ পাওয়া যায় ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় এক ধানক্ষেত থেকে। তার পর ছ'দিনের মাথায় একই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি রাকিব মোল্লাহর মৃতদেহ পাওয়া যায় গলায় চিরকুট ঝোলানো অবস্থায় - রাজাপুরে একটি ইটের ভাটার পাশে। দু'জনেরই গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো তাদের নাম, কোন ধর্ষণ মামলার তারা অভিযুক্ত এসব তথ্য। এছাড়া চিরকুটে আরও লেখা ছিল : 'ধর্ষকের ইহাই পরিণতি' এমন একটি বাক্য। শাহিন জমাদ্দার কিসলু, যিনি নিহত এই দুই ব্যক্তির সম্পর্কে যথাক্রমে মামা ও চাচা হন, তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এফআইআর হওয়ার আগেই সজলের লাশ পাওয়া যায় গত ২৬ জানুয়ারি । আর রাকিব উধাও হয় ২৫ তারিখ নবীনগর থেকে।" তিনি অভিযোগ করেন - "আমার ভাইগ্না ও ভাতিজাকে নির্যাতন করে মারছে।" "আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত হবে, তদন্তের পর বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে। তখন তাকে ফাঁসি দিক অথবা যাবজ্জীবন দিক সেটা আমরা মেনে নিতে পারি। কিন্তু এভাবে হলে তো আমরা সেটা মেনে নিতে পারি না" - বলেন শাহিন জমাদ্দার। নিহত দু'জনই পাশের জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা। তারা দু'জনেই একই এলাকার ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। এখন প্রশ্ন উঠছে - একই অপরাধের সাথে যোগসূত্র থাকা দুই অভিযুক্তর মরদেহ একইভাবে পাওয়া গেল কিভাবে? ঝালকাঠির পুলিশ বলছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন, তবে তাদের নিজেদের মনেও এই একই প্রশ্ন। ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, "বিষয়টা নিয়ে আমাদেরও একটা প্রশ্ন। কারণ হল এরা আমাদের এই এলাকার কেউ না, এদের বাড়ি এখানে না, এখানকার কোন অপরাধের তারা জড়িত না,তাদের অপরাধের ঘটনাস্থল অন্য জেলায়। এখন আমরাও বোঝার চেষ্টা করছি এই লাশগুলো এখানে কিভাবে আসলো। কারা এগুলো করছে তা আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবো।" পুলিশও এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছু জানে না আরো পড়তে পারেন: ধর্ষণে অভিযুক্ত ২জনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা আমেরিকার পর পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়াও ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের বাংলাদেশে গত এক মাসে এ নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃতীয় ব্যক্তির মরদেহ চিরকুট লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেলো। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিলো ঢাকার কাছে সাভারে। জানুয়ারির ১৮ তারিখ সেখানে ধর্ষণের 'স্বীকারোক্তিমূলক' চিরকুট গলায় ঝোলানো অবস্থায় একজন অভিযুক্তর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঝালকাঠির প্রথমটি এবং সাভারের মরদেহটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সবশেষ শুক্রবার যেটি পাওয়া গেছে সেটির ময়নাতদন্ত চলছে। এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলছেন, "এমন ঘটনায় ধর্ষণ তো কমাবেই না বরং এটাকে ঘিরে আরও অপরাধমূলক কাজের জন্ম হতে পারে। রাষ্ট্র যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে বন্ধ করতে না পারে, তাহলে তারা দায়বদ্ধ থাকবে জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টির জন্যে। সেটা খুবই একটা অশুভ লক্ষণ।" তিনি বলছেন, "সাধারণ মানুষ এই ধরনের বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সমর্থন করে যখন আইনের প্রতি সে আস্থা হারায়।" তিনি আরও বলছেন, "সেই ক্লিন হার্ট অপারেশন থেকে শুরু করে ক্রসফায়ার দেখেছি, এনকাউন্টার বন্দুক-যুদ্ধ দেখেছি। জায়গায় জায়গায় মানুষের মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ধরনের যে আচরণ রয়েছে সেটার সুযোগ নিয়ে বাইরের মানুষ এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে এমন আশংকাও তৈরি হয়।" তিনি বলছেন, একটি সভ্য সমাজে একজন মানুষের বিরুদ্ধে যত দুর্ধর্ষ অপরাধের অভিযোগ উঠুক না কেন, আইনি প্রক্রিয়াতে নিয়ে গিয়েই তাকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। আদালতের দায়িত্ব কার্যকর করার অধিকার কারো নেই।" এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ও প্রতিহিংসা মূলক আরও ঘটনার জন্ম দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে কে এভাবে হত্যা করছে, আর একই পদ্ধতি অবলম্বন করে কেন মরদেহগুলো ফেলে রেখে যাওয়া হচ্ছে - সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইরানে ৪০ বছর আগে বিপ্লব হয়েছিল যেভাবে
বাংলাদেশে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত তৃতীয় এক ব্যক্তির মরদেহ গলায় 'স্বীকারোক্তিমূলক' চিরকুট লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে গতকাল শুক্রবার। গত এক মাসের মধ্যে এরকম আরো দুটি ঘটনা ঘটেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
টেস মহাকাশ যানের একটি আঁকা ছবি, যা সোমবার রাতে উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে এই মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা দুই লাখের মতো নক্ষত্রের উপর নজর রাখবেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের সৌরজগতের বাইরে আরো যেসব গ্রহ আছে সেগুলো আবিষ্কার করা। এই লক্ষ্যে নাসা এবার মহাকাশে যে উপগ্রহটি পাঠাচ্ছে তার নাম টেস বা ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট। আরো পড়ুন: সিরিয়ায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে? বাংলাদেশ থেকে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবার ফিরিয়ে নিল মিয়ানমার ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালানোর কথা স্বীকার বার্মার আমাদের এই পৃথিবীর সমান গ্রহ থেকে শুরু করে গ্যাসের তৈরি বৃহদাকার কোন গ্রহ- - মহাকাশে এরকম যা কিছু আছে তার সবকিছুর উপরেই অনুসন্ধান চালাবে এই টেস স্যাটেলাইট। নাসা বলছে, "আমাদের সৌরজগতের বাইরে আরো যেসব গ্রহ আছে সেগুলোর সন্ধানে এই টেসা হচ্ছে তার পরবর্তী ধাপ।" কিন্তু কিভাবে খুঁজবে এই গ্রহ? বিজ্ঞানীরা বলছেন, টেসা দেখবে নক্ষত্রগুলো কতোটা উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে, সেগুলোর উজ্জ্বলতায় যদি কম বেশি হয় তাহলে সেখান থেকে হয়তো কোন গ্রহের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। কারণ এই নক্ষত্রের চারপাশ দিয়ে যখন কোন গ্রহ ঘুরতে থাকে তখন তার উজ্জ্বলতা কমবেশি হয়ে থাকতে পারে। যখন কোন গ্রহ এরকম কিছু করে তাকে বলা হয় ট্রানজিট। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, টেস স্যাটেলাইট হয়তো এরকম কিছু ঘটনাকে সনাক্ত করতে পারবে। টেস মহাকাশ যানের একটি আঁকা ছবি এই স্যাটেলাইটটি যখন এরকম কিছু ট্রানজিটের ঘটনা চিহ্নিত করতে পারবে, তখন সেখানে আসলেই কোন গ্রহ আছে কিনা, বা কেন সেখানে এরকম কিছু ঘটলো সেটার বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু করবে। দেখার চেষ্টা করবে নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে যেসব গ্রহ সেগুলোতে জীবনের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা, কিম্বা প্রাণের বেঁচে থাকার মতো পরিবেশন সেখানে বিরাজ করছে কিনা। কিভাবে করা হবে? টেস স্যাটেলাইট আগামী দু'বছর ধরে পুরো আকাশে জরিপ চালাবে। আর এই কাজটি করা হবে আকাশকে ২৬টি ভাগে ভাগ করে। এতো বড়ো আকাশে কি চোখ রাখা সম্ভব? সম্ভব নয় বলেই ২৬টি ভাগে ভাগ করে একসময় শুধু একটি অংশের উপরেই জরিপটি চালানো হবে। স্যাটেলাইটে থাকবে বহু ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা নজর রাখবে আকাশের উপর। ২৬টি ভাগের একেকটি অংশে নজর রাখা হবে কমপক্ষে ২৭ দিন। ক্যামেরা দিয়ে দেখার চেষ্টা করা হবে সেখানে নক্ষত্রের উজ্জ্বলতায় কোন পরিবর্তন ঘটে কিনা। হলে সেটা কতো বার হয়- এসব থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে পারবেন যে ওই নক্ষত্রকে ঘিরে আসলেই কোন গ্রহ ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা। এই টেস উপগ্রহটি যেসব নক্ষত্রের উপর নজর রাখবে সেগুলো আমাদের এই পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোক বর্ষ দূরে। টেসকে মহাকাশে পাঠাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা "আমরা একেকটি গ্রহ সম্পর্কে পরীক্ষা চালাতে পারবো। বিভিন্ন গ্রহের মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য আছে সেসব বিষয়েও কথা বলতে পারবো। টেস অনুসন্ধান করে যেসব বের করতে পারবে সেগুলো হবে ভবিষ্যতের জন্যে দারুণ কিছু বিষয়," বলছেন বিজ্ঞানী স্টিফেন রাইনহার্ট, যিনি এই প্রকল্পে কাজ করছেন। "এক্সোপ্ল্যানেট অনুসন্ধানে এটি নতুন এক যুগের সূচনা করবে," বলেন তিনি। এখন কী হচ্ছে? নাসাকে এখন এই টেস মহাকাশ যানটিকে মহাকাশে পাঠাতে হবে। সোমবার রাতে ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এই স্যাটেলাইটটিকে। চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্তির সহযোগিতায় এটি ঘুরে বেড়াবে পৃথিবীর চারপাশে। এভাবে চলবে প্রথম ৬০ দিন। বিজ্ঞানীরা যখন এর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, দেখবেন এটি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে তখন এটি সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোর দিকে তাকাতে শুরু করবে আর সেটা চলবে আরো প্রায় দুই বছর। টেসের জন্যে রইলো শুভ কামনা!
সোমবার রাতে মহাকাশে শুরু হচ্ছে নাসার নতুন এক অভিযান। এই মিশনকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
শিল্পীর কল্পনায় স্পেসএক্সের বিএফআর রকেট, যেটিতে করে পর্যটকদের চাঁদে নেয়া হবে। মিস্টার মায়েযাওয়া জানিয়েছেন, তিনি চাঁদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশে সর্বশেষ মনুষ্যবাহী রকেট গিয়েছিল ১৯৭২ সালে। স্পেসএক্স ২০২৩ সাল নাগাদ তাদের রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তবে যে রকেটে করে স্পেসএক্স এই অভিযান চালাবে, সেটিই এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। এলন মাস্ক তাই এই বলে সতর্কও করে দিয়েছেন যে, তাদের এই চন্দ্রাভিযান যে হবেই, তার শতভাগ নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না। মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার হেথোর্নে স্পেসএক্স এর সদর দফতরে তিনি এই ঘোষণা দেন। আরও পড়ুন: রকেটে চড়ে আধঘন্টায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে ভারতের বাতাস কেন দেখতে ভিন্ন জাপানি ধনকুবের মিস্টার মায়েযাওয়া গত বছর নিউ ইয়র্কে এক নিলামে দশ কোটি পনের লাখ ডলারে একটি চিত্রকর্ম কিনে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। মিস্টার মায়েযাওয়া বলছেন, তিনি চাঁদে যাবেন যে রকেটে, সেটিতে ছয় হতে আটজন শিল্পীকেও তার সহযাত্রী হতে আমন্ত্রণ জানাতে চান। এলন মাস্কের কাঁধে জাপানি ধনকুবের ইয়োসাকু মায়েযাওয়া তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পৃথিবীতে ফিরে আসার পর আমি এই শিল্পীদের কিছু একটা সৃষ্টি করতে বলবো। এসব 'মাস্টারপিস' আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে উজ্জীবীত করবে। পৃথিবী থেকে এ পর্যন্ত চাঁদে গেছেন মাত্র ২৪ জন মানুষ। এদের মধ্যে ১২ জন চাঁদের মাটিতে পা রেখেছেন। চাঁদে যাওয়া মানুষদের ২৪ জনই মার্কিন নাগরিক। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র 'অ্যাপোলে ১৭' ছিল চাঁদে যাওয়া সর্বশেষ রকেট। এটি ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে চাঁদে অবতরণ করে। তবে মিস্টার মায়েযাওয়াকে নিয়ে স্পেসএক্সের যে রকেট চাঁদে যাবে, সেটি আসলে সেখানে অবতরণ করবে না। এটি চাঁদের চারপাশ দিয়ে চক্কর দেবে এবং তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
নিজের অর্থ খরচ করে প্রথম চাঁদে যাচ্ছেন যে পর্যটক, তার নাম প্রকাশ করেছে স্পেস এক্স। এলন মাস্কের কোম্পানি জানাচ্ছে, জাপানি কোটিপতি এবং অনলাইন ফ্যাশন টাইকুন ইয়োসাকু মায়েযাওয়া হবেন চাঁদের উদ্দেশ্যে ছাড়া তাদের প্রথম রকেটের যাত্রী।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে অনেক আচরণকেই আত্মহত্যার প্ররোচনা বলে গণ্য করে পুলিশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম জানিয়েছেন, ডাক্তার মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ তার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে যে নোট রেখে গেছেন এবং ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়ে গেছেন, তাতে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে দায়ী করেন। সে কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। এই ডাক্তার দম্পতির ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং জনগণের মধ্যে যেরকম ব্যাপক আলোচনা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে আটক করেন বলে জানান আমেনা বেগম। ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ডাক্তার মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ গত বৃহস্পতিবার ভোরে আত্মহত্যা করেন। সেখানে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। ফেসবুকেও তিনি একটা স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি এর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তার পরিবারও তাৎক্ষণিক এক অভিযোগ জানায় যে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই ডাক্তার আকাশ আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে নিহত ডাক্তার আকাশের পরিবারের তরফ থেকে। এতে তানজিলা হক চৌধুরি মিতু ছাড়াও আসামী করা হয়েছে তার মা, দুই বোন ও কথিত এক প্রেমিক সহ আরও পাঁচজনকে। তবে এই মামলা দায়ের হওয়ার আগেই পুলিশ স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরি মিতুকে আটক করে। আরও পড়ুন: আত্মহননকারী নারীদের ১০ জনের চারজনই ভারতের পরীক্ষায় ভালো করার চাপে কি শিশুরা আত্মঘাতী হচ্ছে? আত্মহত্যা: বাংলাদেশে গোপন মহামারী এর কারণ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা আমেনা বেগম বলেন, "যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং এখানকার জনগণের মধ্যে বিষয়টি আলোড়ন তুলেছিল, সে কারণে এটা বার্ণিং ইস্যু ছিল। তাই আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি।" কিন্তু সুইসাইড নোটে কারো নামে অভিযোগ থাকলেই কি তাকে গ্রেফতার বা আটক করে নিয়ে আসা যায়? আমেনা বেগম বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কাউকেই আনা যায়। আমরা তাকে এখনো গ্রেফতার দেখাইনি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি, কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো।" আত্মহত্যার প্ররোচনা বলতে ঠিক কী বোঝায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আত্মহত্যার প্ররোচনা অনেক কিছুই হতে পারে। অনেক আচরণও হতে পারে। অশ্লীল আচরণ, দুর্ব্যবহারও হতে পারে।" "যেমন ঢাকায় হয়েছে, একজন ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন তার বাবার সাথে শিক্ষকরা দুর্ব্যবহার করার কারণে। এই দুর্ব্যবহারটাও আত্মহত্যার প্ররোচনা।" উল্লেখ্য সম্প্রতি ঢাকার একটি নামী স্কুল, ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করার পর ঐ স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এক ডাক্তার দম্পতির মধ্যে কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। এরপর পুলিশ এই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ভারতীয় একটি ম্যাগাজিন আউটলুক ইন্ডিয়া বলছে, অমর্ত্য সেন বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং মি. আলম এই কাজটাই বহু বছর ধরে দক্ষতা ও সাহসের সাথে করে আসছেন। বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে মি. আলমকে আটক করা হয়েছে। এর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত বহু শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক এবং নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্বরা তার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। এসব দাবিকে সরকার কতটা গুরুত্ব দেয়? বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে বলেন, শহিদুল আলম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক নামকরা যেসব ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন তারা বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত হননি। আরো পড়ুন: শহীদুল আলমের মুক্তির দাবি নোবেলজয়ীদের কেন বাংলাদেশের শহীদুল আলমের পাশে ভারতের রঘু রাই? যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম পুলিশ হেফাজতে শহিদুল আলম। "শহিদুল আলম গণমাধ্যমের একজন কর্মী এবং নামকরা চিত্রগ্রাহক। যারা বিবৃতি দিচ্ছেন তারা সঠিক অবস্থা জানলে হয়তো দ্বিতীয়বার চিন্তা করতেন বিবৃতি দিবেন কিনা।" "জনাব শহিদুল আলম তিনবার প্রকাশ্যে সরাসরি টেলিভিশনে এসে এবং ফেসবুকে লাইভে এসে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে উস্কানি প্রদান করেছেন এবং উত্তেজনাকর কথাবার্তা বলেছেন, যা দেশের আইনের পরিপন্থী।" শুধু শহিদুল আলমের বিষয়ে নয়, বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং খ্যাতনামা ব্যক্তিরা যখন কোন বিবৃতি দেয়, তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কোন চাপের মধ্যে পড়ে কিনা? এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু বিদেশীদের বিষয় নয়, দেশের অভ্যন্তরে যদি কোন বুদ্ধিজীবী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা কোন রিপোর্ট উত্থাপন করে তাহলে সরকার সেগুলো গ্রাহ্য করার চেষ্টা করে, কোন চাপের মধ্যে পড়েনা। "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন হচ্ছে, সাজা হচ্ছে, তখনো বহু দেশের রাষ্ট্রপতি ফোন করে আমাদের অনুরোধ করেছে সাজা না দেবার জন্য।.... তারা একেবারে জঘন্য যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ওকালতি করেছেন। এতে মনে হয়েছে বহু সময় বিদেশীরা আমাদের দেশের বাস্তব আইনও জানেন না এবং যার সম্পর্কে বিবৃতি দিচ্ছেন তার অবস্থানও জানেন না।" কিছু বিদেশী সংস্থা প্রায়ই বাংলাদেশ সম্পর্কে বিবৃতি দেয়, একথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কড়া সমালোচনা করেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের 'বাস্তব অবস্থার তোয়াক্কা করেনা' বলে তিনি মন্তব্য করেন। "বছরের পর বছর একই বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন, কাটিং এন্ড পেস্টিং-এর মতো।" বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেগুলো খারিজ করে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে তিন হাজারের বেশি খবরের কাগজ প্রকাশিত হয় এবং ৪১ টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী। হাসানুল হক ইনু উল্লেখ করেন, ছাত্র বিক্ষোভের সময় শহিদুল আলম 'মিথ্যা তথ্য' দিয়েছেন। ছাত্র বিক্ষোভ সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে সময় নারী লাঞ্ছনা এবং হত্যাকাণ্ডের কোন ঘটনা ঘটেনি। " মিথ্যা তথ্য দিলে তাঁর বিরুদ্ধে যদি কোন আইনগত ব্যবস্থা কেউ নিয়ে থাকে, তাহলে সেটা মত প্রকাশের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নয়।"
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত বাংলাদেশী আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আসলে পরিস্থিতি খারাপের আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য উপাত্ত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পদক্ষেপ, ভাইরাসের বিস্তারের ধরন - এমন নানা কিছু বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকদের দলটি যে সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করেছে তাতে একথা বলা হয়। "বাংলাদেশের বিশাল সীমান্ত ভারতের সাথে। তাই আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ যতই বন্ধ থাকুক - তাতে সেখানকার ভাইরাস আসবে না এই নিশ্চয়তা নেই" - বলেন বিশ্লেষক দলটির প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ডঃ শাফিউন নাহিন শিমুল। তিনি বলছেন, "ভারতে এর ব্যাপকভাবে বিস্তার হচ্ছে এবং সেখানে ভাইরাসের ডাবল ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে।" "অন্যদিকে আমরা আগে ধারণা দিয়েছিলাম যে সেকেন্ড ওয়েভের চূড়া বা পিক আসবে মে মাসের শেষে বা জুনের দিকে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই স্বল্প মাত্রায় লকডাউনসহ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।" "এখন আমাদের মডেল বলছে যে জুলাইতে আসতে পারে সেকেন্ড ওয়েভের পিক বা চূড়া। তবে স্বাস্থ্যবিধি সবাই ঠিক মতো মানলে সেটি তেমন খারাপ নাও হতে পারে," - বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। এখানে পিক বা সর্বোচ্চ চূড়া বলতে দিনে অন্তত ১০/১২ হাজার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে বলে বলছেন তিনি। ডঃ শাফিউন নাহিন শিমুল যে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কনসোর্টিয়ামের অংশ হিসেবে কাজটি করছেন এবং তাদের প্রতি দু'সপ্তাহ পর পর সেখানে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য চিত্র সম্পর্কে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করতে হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন চলমান লকডাউনের কারণে সংক্রমণের গতি একটু ধীর হবে বলে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশী বিশ্লেষকদের দলটির আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপ। অক্সফোর্ডের ওই কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ৪২টি দেশের গবেষক ও বিশ্লেষকরা কাজ করছেন। বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কিত সম্ভাব্য চিত্র সম্বলিত এ ধারণাপত্রটি গত ৩০শে মার্চ সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে গত বছরের আটই মার্চ করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হবার পর এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন। তবে এবার মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নয়দিন প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৯০ জনের বেশি। পরপর কয়েকদিন এ সংখ্যা একশর বেশি ছিলো। মূলত বাংলাদেশের চলমান তথ্য উপাত্ত ও বৈশ্বিক তথ্যাদির ভিত্তিতে একটি গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে সম্ভাব্য চিত্র তৈরির কাজ করেন তারা - যাতে দেশের চলমান অবস্থা, সরকারের পদক্ষেপ, মানুষের আচরণ এসব বিষয় গুরুত্ব পেয়ে থাকে। শাফিউন নাহিন শিমুল বলছেন, সংক্রমণের গতি এখন একটু ধীর হয়েছে তবে রবিবার দোকানপাট খুলছে এবং ২৮শে এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ থাকে কিনা নিশ্চিত না। তাই এখন সংক্রমণ গতি ধীর হলেও ৮/১০ দিন ইনকিউবেশন টাইম পার হলেই আবার সংক্রমণ বাড়বে বলেই মনে করছেন তারা। "তবে আমাদের মডেল বলছে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিলেও খুব একটা সমস্যা হবে না"। মার্চের শুরু থেকে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে বিশ্লেষক দলটির আরেকজন সদস্য ডঃ আবু জামিল ফয়সাল বলছে,ন তারা যখন বিশ্লেষণ করেছেন তখন দেশের লকডাউন ও যাতায়াতে বিধিনিষেধ ছিলো। "আমাদের যে ধারণা সেগুলো নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। সামনে সব যদি খুলে যায় তখন হয়তো পরিস্থিতি ভিন্নও হতে পারে। এখন লকডাউন চলার কথা ছিলো ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই দোকানপাট খুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে একটা গোলমাল কিন্তু লেগে গেলো," বলছিলেন তিনি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় একদিকে সরকারি কাজে প্রচণ্ড সমন্বয়হীনতার কাজ করছে, অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিরা কার্যত কোন ভূমিকাই পালন করছেন না। "সমন্বয়ের খুব অভাব দেখা যাচ্ছে। ধরুন করোনার যত নির্দেশনা এগুলো বাস্তবায়নে দশটা মন্ত্রণালয় কাজ করার কথা। কিন্তু সেটি হচ্ছেনা। আবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান বা নির্দেশনাসহ যেসব কাজে জনপ্রতিনিধিদের থাকার কথা ছিলো সেটিও দৃশ্যমান হয়নি। লকডাউন বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকা কোথায়?" তিনি বলেন করোনা সংক্রমণ চেইন ভাঙার জন্য দরকার সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ এবং একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে শতভাগ। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: নিখোঁজ সাবমেরিনে অক্সিজেন আছে মাত্র কয়েক ঘন্টার শুধু ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল? লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯ কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়ন করে একদল বিশ্লেষক বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের কাছ থেকে এ ধরণের সাদামাটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির নজির বিরল, বিশেষ করে ইস্যু যেখানে দলের নেত্রীর মুক্তি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, "নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ" পথে থেকে তারা জনগণতে তাদের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাইছেন। "জনগণকে সম্পৃক্ত করারই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, এবং আমরা এ পথে থেকে সুফল পাচ্ছি। জনগণ এগিয়ে আসছে, সম্পৃক্ত হচ্ছে"। ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে-পরে এবং সেই নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে বিএনপি যে মাত্রায় সহিংস আন্দোলন করেছে, সে বিবেচনায় তাদের মানব-বন্ধন বা গণস্বাক্ষরের মত কর্মসূচি বিস্ময় তৈরি করেছে। আরও পড়ুন: সুন্নি মসজিদে স্বাগত জানানো হলো রোহানিকে যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক এবং আমেরিকা খালেদা জিয়ার রায়ের দিন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বিক্ষোভ ছাড়া শান্তির পথেই হাঁটছে বিএনপি সিনিয়র সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যিনি একসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন, বিবিসিকে বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাবেন এটা বুঝতে পারলেও বিএনপি এক মাস আগে থেকেই রাস্তায় সহিংস আন্দোলনের পথে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। "বিএনপি গত কয়েক বছরে কিছু ভুল করেছিল। রাস্তায় আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরাও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছিল, অন্য দলের লোকরাও তাতে ইন্ধন যুগিয়েছিল। পরে তাদের ক্ষতি হয়েছে। সেটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছে"। মি আহমেদ বলেন, বিএনপিকে যেমন তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে, সেই সাথে নির্বাচনও করতে হবে। "তাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার নির্বাচনের জন্য দল গোছানো। নমনীয় কর্মসূচিতে দলের ভেতর প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে... আমি তো মনে করি বিএনপির জন্য এটা ভালো হচ্ছে"। মি আহমেদ বলেন, রাস্তায় আন্দোলন করতে গেলে পুলিশী নির্যাতন, মামলা মকদ্দমায় পড়ে নির্বাচনের আগে দল গোছানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়তো বিএনপির জন্য। খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরীও মনে করেন, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে। "মানুষজন এখন আর হরতাল, বিশৃঙ্খলা পছন্দ করেনা। সেটা বুঝে বিএনপি বাস্তববাদি মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে...মানুষের সহানুভূতিও পাচ্ছে কারণ অধিকাংশ মানুষ মনে করছে খালেদা জিয়ার মামলাটি আসলে নির্বাচনের রাজনীতির মামলা"। কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে এই রাজনৈতিক কৌশল কতটা কাজে দেবে? দিলারা চৌধুরী মনে করেন, সেটা প্রধানত নির্ভর করবে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। "আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ছাড়তে চায়না এবং সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে এমন শক্তিশালী নাগরিক সমাজ এদেশে গড়ে ওঠেনি"। "৮০ শতাংশ জনগণও যদি বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তারপরও যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার নাগরিক সমাজের কাছ তেকে অথবা আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে না পড়ছে, ততক্ষণ তারা সুস্থ নির্বাচন দেবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে"।
দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গত সপ্তাহে মানব বন্ধনের পর আজ (শনিবার) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।