instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বঙ্গভবন নিয়মনীতি মেনেই তাকে মুক্তি দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা বা এখতিয়ারবলে ক্ষমা করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা এই দুই মেয়াদে ২০ জনের বেশি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় ছাড়া পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এই এখতিয়ার কিভাবে প্রয়োগ করা হয়, আর প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা কতটা থাকে? এসব প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। হত্যা মামলায় তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড হয়েছিল ২০০৪ সালে। ২০১৫ সালে গিয়ে উচ্চতর আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। সেই সাজা ক্ষমা করার জন্য তার মা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন। শেষপর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত এই আসামী রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সূত্রগুলো বলছে, মুক্তি পাওয়ার পর তোফায়েল আহমেদ জোসেফ ঢাকাতেই রয়েছেন। এখন তিনি বিদেশ চলে যাবেন। তবে কোন দেশে যাচ্ছেন, তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলছেন, নিয়মনীতি মেনেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগের সর্বশেষ ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আরও পড়তে পারেন: তামাকজাত পণ্যে সতর্কবাণী ব্যবহারের আইন 'মানা হচ্ছে না' ছিনতাইকারী বানরের হাতে লক্ষ টাকা ভারতে মুসলমানদের অনেকেই অচ্ছুত "এ মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে তার যে শাস্তি ভোগের মেয়াদ প্রায় ২০ বছরের অধিক হয়ে গেছে। এবং তার যাবজ্জীবন ছিল," তিনি বলেছেন, "অর্থদন্ড ঠিক রেখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এক বছর কয়েকমাস দুই বছরের কাছাকাছি সময় তাকে মওকুফ করেছেন। এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দিয়েছেন।" রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগের সর্বশেষ এই ঘটনা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এর আগে ২০১৬ সালে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেছিলেন। এছাড়া ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে একজন সঙসদ সদস্যের প্রশ্নে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর একটি পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ২১জনের মৃত্যুদন্ড মওকুফ করা হয়েছে। এগুলোর ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক বিবেচনার প্রশ্ন উঠেছিল। সিনিয়র আইনজীবী শাহদ্বীন মালিক বলছিলেন, রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতা প্রয়োগের কারণ যেহেতু ব্যাখ্যা করা হয় না, সেখানে এই অস্বচ্ছতার কারণেই জনমনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি এই ক্ষমতা কিভাবে প্রয়োগ করা যায়, সেই প্রশ্নে শাহদ্বীন মালিক বলেছেন, "এই ক্ষমতা ব্যবহার বা প্রয়োগ করা দু'টো কারণে। একটি হলো, কারও বিচারে শাস্তি হয়েছে। এর পনেরো বিশ বছর পর হঠাৎ বোঝা গেলো যে, তার বিচারে ভুল হয়েছে। তখন আবার বিচারে তাকে নির্দোষ প্রমাণে না গিয়ে রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করতে পারেন।" শাহদীন মালিক "আরেকটা একবারে মানবিক কারণে হতে পারে। কারও সাজার বড় অংশ খাটার পর ক্যান্সার বা দূরারোগ্য কোনো ব্যধি হয়েছে। ডাক্তার বলেছে সে আর বাঁচবে না। তখন রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারেন।" "আমাদের দুর্ভাগ্যবশত, এ ধরণের কোন কারণ বলা হয় না। তখন ঐ সন্দেহটা জাগে যে রাজনীতি বা অন্যান্য বিবেচনা থেকে হতে পারে, সেজন্য জনমনেও প্রশ্ন জাগে।" কয়েক বছর আগে এই ইস্যু নিয়ে হাইকোর্ট থেকে একটি রায় এসেছিল। তাতে বলা হয়, সাজা মওকুফের ক্ষেত্রে কারণ ব্যাখ্যা করা উচিত। এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশও ছিল সেই রায়ে। সেই নীতিমালা এখনও হয়নি বলে জানা গেছে। তবে আইন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংবিধানেই রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারে পরিস্কার বলা আছে এবং সব নিয়ম মেনেই কারও সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত আসে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলছিলেন, সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানান প্রশ্ন যে উঠে, সেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। "এই ক্ষমতাগুলো প্রয়ো করার ক্ষেত্রেও কিন্তু এক ধরণের সুবিবেচনাপ্রসূত হতে হয়।সেটা যদি না হয়, তাহলে কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে সেগুলো দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হয়।সেটি আইনে শাসনের জন্য কোন সুখ-বার্তা বহন করে না।" তিনি আরও বলেন, "সাধারণ জনগণের মধ্যেও নানান প্রশ্ন তৈরি করে যে, কেন ক্ষমা করা হলো? কার প্রভাবে ক্ষমা করা হলো?কোন স্বার্থে ক্ষমা করা হলো, ইত্যাদি ইত্যাদি।এই যে বাড়তি প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হতে হয়।এটি কিন্তু আইনের শাসনের জন্যে এবঙ বিচার বিভাগের জন্যে খুব একটা সুখকর ব্যাপার নয়।" তবে আইন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্বচ্ছ্বতার সাথে এবং সংবিধান অনুযায়ী সাজা মওকুফের সিদ্ধান্তগুলো হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তোফায়েল আহমেদ জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পাওয়ার পর তা নিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মাল্টার নাগরিকত্ব কেনা যাবে মোট সাড়ে ১১ লাখ ইউরো খরচ করে। এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি, কর ফাঁকি এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ঝুঁকি তৈরি হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। আসলেই কি তাই? ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব নেওয়া কতোটা সহজ? ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য দেশের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে ই ইউর প্রত্যেকটি দেশেরই আছে আলাদা আলাদা নিয়ম, শর্ত এবং আইন কানুন। কোন কোন দেশ আছে যেসব দেশের সরকার তাদের দেশে বড় ধরনের অর্থ বিনিয়োগের বিনিময়ে লোকজনকে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। সরকারি বন্ড, স্থাবর সম্পত্তি কিম্বা অন্য কোন ধরনের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব। এর সাথে হয়তো আরো কিছু শর্ত থাকতে পারে- যেমন ওই দেশে বসবাসের আইনি অধিকার। এসব দেশের মধ্যে মাল্টা, সাইপ্রাস এবং বুলগেরিয়াতে এধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। মাল্টায় নাগরিকত্ব প্রার্থনা করে কেউ যদি আবেদন করে থাকেন, দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে তাকে সাড়ে ছয় লাখ ইউরো জমা দিতে হবে। এছাড়াও আরো দেড় লাখ ইউরো দিয়ে কিনতে হবে মাল্টার সরকারি বন্ড কিম্বা স্টক। এবং আরো সাড়ে তিন লাখ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থের স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ বাড়িঘর কিম্বা জমিজমা কিনতে হবে। অর্থাৎ মাল্টার নাগরিকত্ব কেনা যাবে মোট সাড়ে ১১ লাখ ইউরো খরচ করে। পাশাপাশি আছে আরো কিছু শর্ত। আপনাকে অন্তত ১২ মাসের জন্যে ওই দেশের বাসিন্দা হতে হবে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩৮৬ জন ব্যক্তি এই কর্মসূচির আওতায় মাল্টার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য দেশের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন। আরো পড়তে পারেন: বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল দেড়শ বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়বে যে চিকিৎসায় পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কেন চিড় ধরছে মাল্টার সরকার বলছে, এই সময়কালে তারা নাগরিকত্ব কর্মসূচির মাধ্যমে ৪০ কোটি ইউরো সংগ্রহ করতে পেরেছে। এটা মাল্টার মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশের সমান। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশেই এরকম বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকত্ব গ্রহণের কর্মসূচি নেই। তবে বহু দেশের সরকার তাদের দেশে অর্থ বিনিয়োগের জবাবে বসবাসের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেমন ধরা যাক ব্রিটেনের কথা। সেখানে কেউ যদি অন্তত ২০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেন তাহলে তাকে ইনভেস্টর ভিসা দেওয়া হয়। কয়েক বছর বসবাস করার পর তিনি এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার চেয়ে আবেদন করতে পারেন। যুক্তরাজ্যে ২০১৭ সালে এরকম ৩৫৫ জন বিনিয়োগকারীকে ইনভেস্টর ভিসা দেওয়া হয়েছে। সেবছর যুক্তরাজ্য কাজের জন্যে যতো ভিসা দিয়েছিল এই ইনভেস্টর ভিসা ছিল তার শূন্য দশমিক তিন শতাংশ। সুতরাং যেটা পরিষ্কার সেটা হলো: বড় ধরনের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। তবে এর সাথে হয়তো আরো কিছু শর্ত থাকতে পারে। তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খুবই অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ এধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় সেসব দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের কর্মসূচি খতিয়ে দেখছে ইউরোপীয় কমিশন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পার্কেও লোকজনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশে এই ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ঘটছে, সেখানে নিত্য প্র্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির দোকান ছাড়া আর সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাইব্রেরি, বাচ্চাদের খেলার মাঠ, বাইরে ব্যায়াম করার জিম এবং অনেক ক্ষেত্রে উপসনালয়গুলোও বন্ধ রাখা হচ্ছে। ব্রিটেনে দুজনের বেশি কেউ এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে না। এক্ষেত্রে একমাত্র ছাড় দেয়া হচ্ছে একই পরিবারের সদস্যদের। একশ তিরিশ কোটি মানুষের দেশ ভারতে আজ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে পুরো ‘লকডাউন’। যা বলবৎ থাকবে তিন সপ্তাহ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন দেশের সরকার বলছে শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং ওষুধ কেনার জন্য বাজারে যেতে এবং প্রয়োজন হলে ও সুযোগ থাকলে ঘর থেকে অফিসের কাজ করতে। কিন্তু বাইরে যাদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে তাদের জন্য যেসব পরামর্শ দেয়া হচ্ছে: বাইরে বের হতে হলে আমার কী করণীয়? যদি বাজারে যেতেই হয়- খাবারদাবার বা ওষুধপত্র কিনতে- তাহলে পরস্পরের মধ্যে দুই মিটারের বেশি দূরত্ব বজায় রাখবেন। কারো দুই মিটার বা সাড়ে ছয় ফুট দূরত্ব ছেড়ে থাকবেন। বহু দেশে রেস্তোঁরা, ক্লাব, থিয়েটার, সিনেমা, বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মল ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করার খাতিরে। আর যাদের জ্বরের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বা শুকনো কাশি অথবা অনেক জ্বর উঠছে তাদের বারবার করে বলা হচ্ছে তারা যেন বাসার ভেতর আলাদা থাকেন, একেবারেই বাইরে না বেরন অর্থাৎ তারা যেন স্বেচ্ছায় নিজেদের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখেন যাতে তাদের থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কেন জরুরি? সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি, কারণ আক্রান্ত কেউ হাঁচি কাশি দিলে তার সূক্ষ্ম থুতুকণা যাকে ইংরেজিতে ‘ড্রপলেট’ বলা হয় তা বাইরে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই ড্রপলেটের মধ্যে ঠাসা থাকে ভাইরাস। যেসব জায়গায় এই কণাগুলো পড়ছে সেসব জায়গা যদি আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, এবং তারপর আপনার সেই অপরিষ্কার হাত আপনি মুখে দেন অথবা খুব কাছ থেকে সেই কণাগুলো নি:শ্বাসের মধ্যে দিয়ে আপনার শরীরে ঢোকে, আপনি সংক্রমিত হবেন। আপনি যদি অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশি সময় না কাটান, অন্যদের খুব কাছে না যান, আপনার সংক্রমিত হবার সম্ভাবনাও কমবে। একটি খাবারের দোকানের সামনে ক্রেতারা দূরে দূরে দাঁড়িয়েছেন। কোন কোন দেশে আরো কঠোর পদক্ষেপ কোন কোন দেশ যেখানে এই ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে বা যেসব দেশ ছড়ানোর আশংকায় রয়েছে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেলফ আইসোলেশন বা স্বেচ্ছায় আলাদা থাকার মানে কী? সেলফ আইসোলেশন মানে ঘরে থাকবেন- বাইরে যাবেন না- একমাত্র হাঁটাহাঁটি বা জগিং-এর মত ব্যায়ামের জন্য ছাড়া। এই সময়ে কাজে যাবেন না, স্কুল কলেজ বা জন সমাগম হয় এমন কোন জায়গায় যাবেন না। এমনকী সম্ভব হলে, নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারদাবার কিনতেও বের হবেন না। এ ব্যাপারে অন্য কারো সাহায্য নেবেন। তবে মনে রাখবেন যে আপনাকে সাহায্য করছে তার দু মিটার দূরত্বে থাকবেন, বা যদি বাইরে একান্তই যেতে বাধ্য হন তাহলে সামাজিকভাবে কারো কাছাকাছি যাবেন না। ভারতে তিন সপ্তাহের জন্য গোটা দেশ জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। সেলফ আইসোলেশনে কখন ও কেন যাবেন? করোনাভাইরাসের কোনরকম উপসর্গ যদি দেখা দেয় অর্থাৎ আপনার ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর জ্বর ওঠে, ক্রমাগত শুকনো কাশি হতে থাকে অথবা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এবং আপনার সঙ্গে একই বাসায় বা ফ্ল্যাটে থাকে এমন কারো যদি এধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। লক্ষণ প্রকাশ পাবার পর যখন সেলফ আইসোলেশনে বা স্বেচ্ছায় আলাদা থাকবেন তখন এমন রুমে থাকবেন যেখানে আলো বাতাস ঢোকে। পারলে জানালা খুলে রাখবেন এবং বাসার অন্য মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। লন্ডনে জনসাধারণ যেসব সেবা ব্যবহার করেন সেখানে মানুষের মধ্যে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে যেমন লন্ডনের এই টিউব স্টেশন। কাদের একেবারেই বের হওয়া উচিত নয়? যাদের অন্যধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে ব্রিটেনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাদের ১২ সপ্তাহ একেবারে বাসার ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এদের মধ্যে থাকছে: শেখ হাসিনা: 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা' করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব কেন ও কীভাবে বজায় রাখবেন? ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জেলখানায়, বহু দেশ বন্দী ছেড়ে দিচেছ করোনাভাইরাস: সংকট মোকাবেলায় চিকিৎসক-আইসিইউ কতোটা আছে বাংলাদেশে?
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর একটা পদক্ষেপ হিসাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বেচ্ছায় নিজেকে আলাদা করে রাখার অর্থাৎ সেলফ আইসোলেশনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
স্থানীয়রা মিলেমিশে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলার কথাই বলছিলেন তিনি যে ঘটনায় নিহত হয়েছে প্রায় আড়াইশ মানুষ। আর এ হামলার জন্য দায়ী করা হয় একটি মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠীকে। এরপর পুরো রোজার মাস জুড়ে মুসলিমরা যখন রোজা পালন করছিলো, তখন উগ্রবাদীদের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য শ্রীলংকার মুসলিমদের ছোট একটি গ্রুপ নিয়েছে একটি ভিন্ন পদক্ষেপ - তারা একটি মসজিদ ধ্বংস করেছে। আকবর খান মাদাতুগামার প্রধান মসজিদের একজন ট্রাস্টি। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন - কেন এমনটি করলো সেখানকার মুসলিমরা। 'সন্দেহ' আকবর খান বলছেন, ইস্টার হামলার পর পুলিশ কয়েক দফা তল্লাশি করেছে মসজিদটিকে। এতে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। মুসলিমদের সাথে অন্য সম্প্রদায়গুলোর অবিশ্বাসও বেড়ে যায়। যে মসজিদটি ধ্বংস করা হয় সেটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত বা এনটিজে সদস্যরা বেশি যাতায়াত করতো বলে মনে করা হয়। পরে এনটিজে পরিচালিত ওই মসজিদটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। মাদাতুগামার ওই মসজিদটি ঐতিহাসিক, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক-কোন কারণেই খুব বেশি উল্লেখযোগ্য নয়। ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে বিশ্বের কোন কোন দেশে নিকাব নিষিদ্ধ? শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের সন্তানরা কেন জঙ্গিবাদের দিকে? শ্রীলংকা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড স্থানীয়রা বলছে মসজিদটি উগ্রবাদীরা ব্যবহার করতো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত "আমাদের শহরে অন্য যে মসজিদ আছে সেটি মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য যথেষ্ট। কয়েক বছর আগে অন্য একটি গোষ্ঠী প্রশ্নবিদ্ধ মসজিদটি নির্মাণ করে।" পরে মে মাসে পুরনো মসজিদের সদস্যরা একটি সভায় মিলিত হয়ে সর্বসম্মত হয়ে বিতর্কিত মসজিদটি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্থানীয়রা সেটি ধ্বংস করে। তিনি বলেন, "মিনার, নামাজ কক্ষ ধ্বংস করে ভবনটি পুরনো মালিকের হাতে দিয়ে দেয়া হয়েছে।" শ্রীলংকায় ৭০ ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। আর মুসলিম আছে দশ ভাগের মতো। আল্লাহর জায়গা মসজিদ ধ্বংস করে ফেলার সিদ্ধান্ত সবাই ভালোভাবে নেয়নি। শ্রীলংকায় মুসলিমদের সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ অল সিলন জামিয়াতুল উলামা বলছে, প্রার্থনার জায়গার ক্ষতি করা উচিত নয়। "মসজিদ আল্লাহর ঘর। এর ধ্বংস বা ক্ষতি করা ইসলামী চেতনার পরিপন্থী," সংস্থাটি বলেছে এক বিবৃতিতে। শ্রীলংকা সরকার বলছে, দেশটিতে প্রায় ২ হাজার ৫৯৬টি রেজিস্টার্ড মসজিদ আছে। ড: আ রামিজ ওয়াহাবি মতাদর্শের প্রভাব শ্রীলংকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: আ রামিজ বলছেন, মসজিদ ধ্বংসের পন্থা বেছে নিলে এমন শত শত মসজিদ ধ্বংস করতে হবে। তার ধারণা, দশ থেকে পনের শতাংশ মসজিদ উগ্রবাদী গোষ্ঠী গুলো চালায়। কারণ গত দু'দশকে বেশ কিছু গোষ্ঠী ওয়াহাবী মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। তিনি বলছেন, অনেকদিন ধরেই শ্রীলংকার মুসলিমরা উগ্রবাদীদের সহ্য করে আসছিলো। কিন্তু তারা চুপ থাকায় উগ্রবাদীরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। অভিযান চলছে প্রচণ্ড গরমেও মুসলিম নারীরা এখন বেশি করে শরীর ও মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ ঢেকে চলাফেরা করছে। তবে বোমা হামলার ঘটনার পর মুখ ঢেকে রাখায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ওই হামলার পর দেশটিতে এখনো জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে, যার অবসান হবে আগামী ২২শে জুন। ইস্টার হামলার পর ভীতির মধ্যে আছে শ্রীলংকার মুসলিমরা কিন্তু দেশটির মুসলিমরা সবদিক থেকেই বেশ চাপের মধ্যে আছে। ওই ঘটনার পর বহু জায়গায় মুসলিমদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। ড: রামিজ বলছেন, তিনি নিজেও হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ওদিকে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু সরকার থেকে মুসলিম মন্ত্রীদের সরিয়ে নেয়ার দাবিতে অনশনের ডাক দিয়েছে। তবে মাদাতুগামায় কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। "মসজিদটি ধ্বংসের পর আমাদের কম ক্ষোভের শিকার হতে হচ্ছে। সিংহলিজ ও তামিলরা আমাদের প্রতিবেশী হিসেবে সম্পৃক্ত করছে ফলে উত্তেজনাও কমছে।"
'ইস্টার হামলার পর অমুসলিমরা আমাদের সবাইকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখতে শুরু করেছে," বলছিলেন এমএইচএম আকবর খান।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আইএস জঙ্গিরা একদল ইথিওপিয়ান বন্দিকে হত্যা করছে - ফাইল ছবি ইসলামিক স্টেট নামটি বিদ্বেষের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিরশ্ছেদ, ক্রুশবিদ্ধ করা, পাথর ছুড়ে মারা, পাইকারীহারে হত্যা, জীবন্ত কবর দেয়া আর ধর্মীয় ও জাতিগত নিধন – কী করছে না এই গোষ্ঠী। সুন্নি এই চরমপন্থি গোষ্ঠীটি হঠাৎ করে ইরাক ও আশেপাশে আত্মপ্রকাশ করার পর শিউরে ওঠার মত হিংস্রতা আর রক্তপাতের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু হিংস্রতার কারণ সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স ও পলিটিক্স-এর অধ্যাপক ফাওয়াজ এ. গারগেজ, যিনি ‘জার্নি অব দ্যা জিহাদিস্ট: ইনসাইড মুসলিম মিলিট্যান্সি’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। যে মাত্রায় আইএস বর্বরতা চালাচ্ছে তা হয়তো সভ্য সমাজের বেশীরভাগ মানুষের কাছে অর্থহীন মনে হতে পারে, কিন্তু আইএস-এর জন্যে এটি যৌক্তিক একটি পছন্দ। এটি তাদের একটি সচেতন সিদ্ধান্ত শত্রুকে ভয় দেখানো এবং এর মাধ্যমে নতুনদেরকে প্রভাবিত করে দল ভারী করা। আইএস জঙ্গিদের কনভয়ের এই ছবি রিলিজ করে জঙ্গিদের একটি ওয়েবসাইট -ফাইল ছবি আইএস কোন সীমা বা নিষেধ না মেনে সর্বাত্মক যুদ্ধে বিশ্বাসী। এমনকি অন্য সুন্নি প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এরা কোন সমঝোতায়ও বিশ্বাসী নয়। পূর্বসূরি আল-কায়েদার মতো অপরাধকে যুক্তিগ্রাহ্য করার জন্যে আইএস ধর্মের বানীও আওড়ায় না। আইএস-এর সহিংসতার শিকড় রয়েছে এর আগের দুটো সহিংসতার মধ্যে, যদিও সেগুলোর মাত্রা এত ব্যাপক ছিল না। প্রথম ঢেউটির নেতৃত্বে ছিলেন সাঈদ কুতব-এর শিষ্যরা। মিশরীয় এই কট্টরপন্থীকে আধুনিক জিহাদীতন্ত্রের মূল তাত্ত্বিক মনে করা হয়। এরা পশ্চিমা-পন্থী ধর্মনিরপেক্ষ আরব সরকারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যাদেরকে তারা বলতো ‘কাছের শত্রু’। এদের শুরু ১৯৮০ সালে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদতের হত্যাকাণ্ড দিয়ে, আর একটা বড় অংশ আফগানিস্তানে নতুন শত্রু খুঁজে পায়, যেটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েতের বিরুদ্ধে আফগান জিহাদ জন্ম দেয় দ্বিতীয় ঢেউয়ের। ১৯৯৮ সালে তোলা ওসামা বিন লাদেনের ছবি। নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকেই দায়ী মনে করে - ফাইল ছবি এদের ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তু – ‘দুরের শত্রু’, যাদের মধ্যে ছিল মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আর কিছুটা হলেও ইউরোপের দেশগুলো। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ধনী এক সৌদি নাগরিক, ওসামা বিন লাদেন। বিন লাদেন এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যাকে তিনি বলেছেন ‘আত্মরক্ষামূলক জিহাদ’ বা মুসলিম সমাজে কথিত মার্কিন প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। আইএস নেতা আবু বকর বাগদাদীর কাছে অবশ্য এসব যুক্তির কোন মূল্য নেই। তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ধর্মের দোহাই আর তত্ত্বের ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে সহিংসতার ওপর জোর দেন। নিজেদেরকে গড়ে তোলেন কিলিং মেশিন হিসেবে, যাকে শক্তি যোগায় রক্ত আর অস্ত্র। বিন লাদেনের মূলমন্ত্র ছিল এ রকম – ‘মানুষ একটি শক্তিশালী ঘোড়া ও একটি দুর্বল ঘোড়া দেখলে তাঁরা সবলটিকে পছন্দ করে’। আর আল-বাগদাদীর মূলমন্ত্র হলো – ‘সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয় অর্জন’। আর এর মাধ্যমে তিনি বন্ধু ও শত্রুদের যে বার্তা দিচ্ছেন, তা হলো – আইএস নামের ঘোড়াটি জয় করতে এসেছে। সরে দাড়াও, না হলে পিষ্ট হবে। অথবা আমাদের বহরে যোগ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করো। সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখায় যায় আল-নুসরা ফ্রন্টের মতো গোষ্ঠী যারা এক সময় আইএস-এর বিরোধী ছিল, তারাও আল-বাগদাদীর ডাকে সাড়া দিয়েছে। আবু বকর আল-বাগদাদী - ফাইল ছবি ইসলামের শত্রুর বিরুদ্ধে আইএস-এর যে কৌশল, তাতে সাড়া দিয়েছে সারা বিশ্বের অনেক তরুণ, যারা এই গোষ্ঠীকে মুক্তির পথ বলে মনে করে। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস বিশাল এলাকা দখল করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেছে। সাফল্যের চেয়ে বড় আর কিছু নেই, ফলে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। খেলাফতের উত্থানের কথায় পশ্চিমা অনেক মানুষ সেখানে গেছে। প্রথম দিকে লন্ডন, বার্লিন আর প্যারিসের অনেক তরুণ স্বধর্মীদের রক্ষায় জিহাদের ভূমিতে গেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইএস-এর হাতে পড়ে অংশ নিয়েছে নিরীহ মানুষের শিরশ্ছেদের মতো ঘটনায়। আইএস-এর লাগামছাড়া কট্টরপন্থার শেকড় রয়েছে ইরাকে আল-কায়েদার ভেতরে, যার নেতৃত্বে ছিলেন আবু মুসাব আল-যারকাওয়ি। আইএস যোদ্ধা - ফাইল ছবি আল-কায়েদা শিয়া বিরোধী না হলেও আইএস শিয়া বিরোধী হিসেবে বেড়ে উঠেছে। আল-যারকাওয়ি এবং আল-বাগদাদী দু’জনেই শিয়াদেরকে বিধর্মী হিসেবে মনে করেন। শিয়াদের হত্যা না করতে আল-কায়েদা নেতা আইমান আল-যাওয়াহিরির একের পর এক ডাক উপেক্ষা করেছেন আল-বাগদাদী। ইরাকে শিয়া-সুন্নি বিভেদ আর সিরিয়ায় জাতিগত দাঙ্গার সুযোগ নিয়ে আল-বাগদাদী সুন্নিদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন। এতদিন আইএস মূলত শিয়াদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল, ‘দুরের শত্রু’র দিকে নজর ছিল কম। এখন যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে, তাই গোষ্ঠীটি তাদের সব শক্তি প্রতিশোধের জন্যে ব্যবহার করতে পারে। কয়েকমাস আগে আল-বাগদাদী বলেছিলেন যে আমেরিকায় গিয়ে হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা তাঁর সংগঠনের নেই। তবে তিনি চান আমেরিকানরা মাঠে নামবে এবং তিনি তাদের খুন করবেন।
শিল্প, সংস্কৃতি আর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে নজিরবিহীন হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মংডুর পুড়ে যাওয়া এলাকা মংডু শহরের উত্তর দিকে প্রধান সড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বাস ছিল। কিন্তু মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সবগুলো গ্রাম পুড়িয়ে গেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মংডুর যেসব জায়গায় জনবসতি ছিল সেসব জায়গায় ক্ষুধার্ত কুকুর ছোট ছোট ছাগল খাচ্ছে। এই গ্রামগুলোর মসজিদ, মার্কেট ও স্কুল একসময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের পদচারণায় সরগরম থাকতো, কিন্তু এখন সেখানে শুনশান নিরবতা। রাখাইনে সেনা অভিযানে সেখান থেকে পালিয়ে সাড়ে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনে সহিংসতায় নিহত হয়েছে অন্তত পাঁচশো। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনাকে ইতোমধ্যেই 'জাতিগত নিধনযজ্ঞ' হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। যদিও মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে তারা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। মংডুর ইয়ে খাট চোং গোয়া সোন গ্রামের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী সুয়াইদ ইসলাম বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, গত বছরও তার গ্রামের বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। যারা তখন পালিয়ে আসেননি তখন অস্থায়ী কুঁড়েঘর বানিয়ে, অনেকটা পালিয়ে বেঁচেছিলেন, সাহায্য সংস্থাগুলোর দেয়া ত্রাণের ওপর বেঁচে ছিলেন। এবারও সেনাবাহিনীর হামলা হবার পর তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। "আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, সেনা সদস্য আর পুলিশ যদি আমাদের খুঁজে পায় আর গুলি করে মেরে ফেলে...তাই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসেছি" টেলিফোনে বলেন তিনি। আরও পড়ুন: 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' নিউইয়র্ক-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে ২১৪টি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। স্যাটেলাইটের ছবি পর্যালোচনা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। অন্যদিকে মিয়ানমার সরকার বলেছে রাখাইনে ছয় হাজার আটশোরো বেশিঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে, কিন্তু এর জন্য তারা রোহিঙ্গা গ্রামবাসী ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাকে দায়ী করছে। "সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে" বলেন অং সান সু চি'র মুখপাত্র। রাখাইনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সম্প্রতি সেখানে কয়েকজন দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের এক দলকে মংডুতে যাবোর অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কয়েকজন সংবাদদাতা রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে মংডু, বুথিডং, এবং রাথেডং এলাকায় গিয়েছেন। তারা মংডু থেকে সবচেয়ে কিয়েইন চাউং এলাকায় সড়ক পথে গাড়ি চালিয়ে গেছেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খুব কম কথা বলতে পেরেছেন সাংবাদিকরা। কারণ বহিরাগত কারও সঙ্গে কথা বলতে তারা ভয় পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগেরই সাক্ষাৎকারই তারা নিয়েছেন ফোনের মাধ্যমে এবং যেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে না সেই এলাকাগুলো থেকে নেয়া হয়েছে। সেনা অভিযানে রাখাইনের মংডু এলাকার অনেকাংশ পুড়ে গেছে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করছে- মিয়ানমার সরকারের এমন অভিযোগের মুখে বিশ্বসংস্থাটি সেখানে ত্রাণ তৎপরতা বন্ধ করে দেয়। আর জাতিসংঘ ত্রাণ তৎপরতা বন্ধ ঘোষণার পর থেকে খুব কম ত্রাণ ও সহযোগিতা রাখাইনে পৌঁছেছে। রাজধানী সিতওয়েতে দুইবার রেডক্রসের ত্রাণবহর আটকে দিয়েছে স্থানীয় রাখাইনরা। গত অক্টোবর মাসে রাখাইনের ইন উ শে কিয়া গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করে যে, সেনাবাহিনী তাদের গ্রামে হামলা চালিয়েছে এবং গ্রামের নারীদের ধর্ষণ করেছে। ওই গ্রামের একজন শিক্ষক ফোনে বার্তা রয়টার্সকে বলেন, "ওই গ্রামে মোট আটশোটি পরিবার ছিল। কিন্তু এখন সেখানে মাত্র একশোর মতো পরিবার আছে। আর যারা সেখানে রয়ে গেছে তাদেরকে সেনাদের সঙ্গে অনেক লুকোচুরি করেই থাকতে হচ্ছে। কারণ সেনা সদস্যরারা সকালে গ্রামে তাদের খুঁজতে আসে। সে সময় বাসিন্দারা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে এবং রাতে তারা বাড়িতে ফিরে আসে।" "আজ সন্ধ্যায় খাওয়ার মতো কোনও খাবার নেই আমাদের আর কিইবা করার আছে? আমরা জঙ্গলের কাছাকাছি থাকি। সেখানে অনেক লতাপাতা আছে; আমরা তাই খাচ্ছি। এরপর একটু পানি সংগ্রহ করছি খাবার জন্য। এভাবেই বেঁচে আছি আমরা" বলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু ওই ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স। কারণ তাদের ওপর নির্দেশনা জারি করা আছে যেন কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে। তিনি জানান, গর্ভবতী স্ত্রী, ছয় সন্তান আর বুড়ো বাবা-মাকে নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার মতো অবস্থা তার নেই। কারা এই রোহিঙ্গা মুসলিম? বাংলাদেশের কক্সবাজারে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু রোহিঙ্গা এদিকে অং সান সু চির মুখপাত্র বলছেন, রাখাইনে মানবিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়াকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। "কোনও এলাকায় যদি ত্রাণ না পৌঁছে থাকে আমাদের সেটা জানানো উচিত। জানা মাত্রই যত দ্রুত সম্ভব আমরা সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেব" বলেন তিনি। রাখাইনে চলমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে প্রায় ৩০ হাজার অমুসলিম বাসিন্দাও গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে তিনদিন আগেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায় তারা রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে। সেনাবাহিনীর ভাষায় রোহিঙ্গা মুসলমান জঙ্গিরা এইসব হিন্দুদেরকে হত্যা করেছে। ওই এলাকাটিতে চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবার কারণে সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের রাখাইনে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস ছিল। যদিও সাম্প্রতিক সহিংসতায় সাড়ে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও কয়েক দফায় প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বাস করছিল। 'তারা চলে গেছে তাই খুশি' বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, স্থানীয় রাখাইনরা সেখান থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করতে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে। মংডুর দক্ষিণাঞ্চলের আলেল থান কিয়াউ এলাকার বাসিন্দা,২২ বছর বয়সী কামাল হুসেইন রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে জানান, "রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে চলে যায়। এরপর তারা যখন বের হয়ে আসে সেনা সদস্যরা এসে গ্রেনেড লঞ্চার ছুড়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়"। গত ২৫শে সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায় তারা রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে। বাড়ি আগুনে পুড়ে যাবার পর তারা পালিয়ে ছিলেন, সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে সু চির মুখপাত্র দাবি করছেন, কিছু খালি বাড়িতে রাখাইনরা আগুন লাগিয়েছে। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সহযোগিতাকারী দুই রাখাইন বৌদ্ধ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে রয়টার্সের প্রতিনিধি দল। এদের একজন টিন টুন সয়ে। তিনি জানান, "সেনাবাহিনীর দ্রুত অভিযানের রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। হামলার পরদিনই প্রায় এক হাজার ৬০০ বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারা (রোহিঙ্গারা) সংখ্যায় অনেক বেশি। তারা এখানে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল। তারা সবাই চলে গেছে তাই আমি খুব খুশি"। বিবিসি বাংলার আরো খবর: হেমায়েতপুরে ট্যানারি কি আরেকটি হাজারীবাগ হবে? ফেসবুক নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন জাকারবার্গ 'মানুষ খেকো স্বামী-স্ত্রী' যেভাবে ধরা পড়লেন রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো কে জ্বালিয়ে দিচ্ছে?
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতায় যে এলাকাগুলো পুড়ে গেছে মংডু তারই একটি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনের কার্যালয় ভারত-শাসিত কাশ্মীরের যে তিনজন যুবকের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা ভারতের ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন, তাদের নাম ওয়াহিদ পারা, ইরফান আহমেদ দার ও নাসির আহমদ ওয়ানি। এদের একজন রাজনীতিবিদ, যাকে মাসের পর মাস ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। একজন সামান্য দোকানদার, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যার মৃত্যু হয়েছে এবং তৃতীয়জন রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছেন দু'বছর আগে। গত ৩১শে মার্চ এই তিনটি ঘটনার উল্লেখ করে জাতিসংঘের ওই পাঁচজন বিশেষজ্ঞ ভারত সরকারের কাছে একটি চিঠি লেখেন এবং এ বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেয়ারও দাবি জানান। তাঁরা ওই চিঠিতে লেখেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে এই অভিযোগগুলো সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।" কাশ্মীরের জেলে চরম নির্যাতনের শিকার ওয়াহিদ পারা তবে সেই চিঠি লেখার পর প্রায় দু'মাস কেটে গেলেও ভারত সরকারের কাছ থেকে তাঁরা কোনও জবাব পাননি। এরপর সেই চিঠিতে খুব সম্প্রতি জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের 'অফিস অব দ্য হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসে'র (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সর্বসমক্ষে আনা হয়েছে। ওই চিঠিতে যারা সই করেছেন তাদের মধ্যে আছেন জাতিসংঘের নির্যাতন ও নিষ্ঠুর শাস্তি-বিরোধী স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ের নিলস মেলজের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আর্বিট্রারি ডিটেনশনের ভাইস-চেয়ার এলিনা স্টেইনার্টে। এছাড়া 'গুম' বা রহস্যজনক অন্তর্ধান বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ার-র‍্যপোটিয়ের তি-আং বেক, বিচার-বহির্ভূত হত্যা-বিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ের অ্যাগনেস কালামার্ড এবং আর একজন শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ফিওনুয়ালা নি আওলাইন-ও চিঠির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন। আরও পড়তে পারেন: নিলস মেলজের এই বিশেষজ্ঞরা সকলেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাদের 'ম্যান্ডেট' পেয়েছেন এবং সেই এক্তিয়ারেই তারা এ বিষয়ে ভারত সরকারের ব্যাখ্যা বা কৈফিয়ত চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই তিনজন কাশ্মীরি যুবকের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, যাতে তাঁরা ভারতের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই চিঠি লিখেছিলেন? বিশেষজ্ঞরা ওই চিঠিতে তাঁদের নিজস্ব সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাগুলোর যে বিবরণ দিয়েছেন তা এরকম: ওয়াহিদ পারা যেমন ছিলেন পিপলস ডেমোক্র্যোটিক পার্টির যুব শাখার সভাপতি। গত বছরের জুলাই মাসে তিনি জাতিসংঘের 'নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ও ভাবী সদস্য দেশগুলোর' সাথে একটি ক্লোজড ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেন। সেখানে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন - এবং তার পরেই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা এসে তাকে হুমকি দিয়ে যান সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে বারে বারেই গত নভেম্বরে কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করার ঠিক তিনদিন পর ওয়াহিদ পারাকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বন্দীদশায় পারাকে মাটির তলায় একটি অন্ধকার সেলে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় রাখা হয়েছিল। ঘুমোতে দেয়া হয়নি, লাথি-চড় মারা হয়েছে, রড দিয়ে প্রচন্ড মারধরও করা হয়েছিল। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আরও লিখেছেন, পারা-কে নগ্ন করে উল্টো ঝুলিয়েও রাখা হয়েছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে ওয়াহিদ পারা জামিন পেলেও মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে নতুন একটি চার্জে তাকে আবার আটক করা হয়। তিনি এখনও জেলেই আছেন। তেইশ বছরের ইরফান আহমেদ দার পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তার মৃত্যুর ঠিক আগের দিন, উত্তর কাশ্মীরে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি) সোপোরে এই দোকানদারের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন তার পরিবারকে জানানো হয়, পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ইরফান নিহত হয়েছেন। সেই মৃত্যুর ম্যাজিস্টেরিয়াল তদন্ত চেয়ে তার পরিবার এখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মাত্র ১৯-বছর বয়সী নাসির আহমদ ওয়ানির ঘটনাটি এগুলোর চেয়ে আরেকটু বেশি পুরনো। চুয়াল্লিশ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেনারা নাসিরের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আজ থেকে প্রায় দু'বছর আগে। চিঠিতে অন্যতম স্বাক্ষরকারী অ্যাগনেস কালামার্ড অভিযোগ ছিল, নাসিরের মোবাইল ফোনটি না কি বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা ব্যবহার করছিল। নাসিরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। সেনাবাহিনী তার পরিবারকে জানিয়েছে নাসিরকে না কি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাসির আহমদ ওয়ানি কোনও দিনই আর নিজের বাড়িতে ফেরেনি। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই তিনটি ঘটনায় যে নির্দিষ্ট আটটি বিষয় নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন, তার একটি হল, 'মি নাসির আহমদ ওয়ানির কী পরিণতি হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন।' তবে ভারত সরকার আজ পর্যন্ত এই আটটি বিষয়ের কোনওটি নিয়েই ব্যাখ্যা দেয়নি - কোনও জবাব দেয়নি ওই চিঠিরও। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
তিনজন কাশ্মীরি যুবকের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ভারত সরকারের জবাবদিহিতা দাবি করেও কোনও সাড়া পাননি। প্রায় দু'মাস অপেক্ষা করার পর তাদের সেই চিঠি জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাদ্রাসাই আবাসিক। তিন দশকের বেশি সময় ধরে মহাপরিচালকের পদে থাকা আহমদ শফীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার একদিন পরই তিনি মারা যান। শনিবার তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মাদ্রাসার নেতৃত্ব কারা দেবেন সেটা নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে শুরা কমিটির বৈঠক বসে যা একটানা রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার তিনজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক যৌথ সিদ্ধান্তে মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদরাসার শিক্ষা সচিব বা প্রধান শায়খুল হাদিস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যাকে কিনা তিন মাস আগে সহকারী পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে বিরোধ চলে আসছিল তার মধ্যে জুনায়েদ বাবুনগরীর নাম বহুভাবে উঠে এসেছে। আহমদ শফীর মৃত্যুর পরপরই জুনায়েদ বাবুনগরীকে পুনর্নিয়োগ দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হলেও সব সিদ্ধান্ত সমঝোতার ভিত্তিতে এবং কওমি মাদ্রাসার নিয়মানুযায়ী হয়েছে বলে জানান সেখানকার শিক্ষক আশরাফ আলী নাজিমপুরি। তিনি বলেন, "কওমি মাদ্রাসার নীতি আদর্শের একটি হল, কোন প্রিন্সিপাল মারা গেলে তার দাফনের আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে পরবর্তীতে কে দায়িত্ব পাবেন। এখানে তো দাফনের পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর জুনায়েদ বাবুনগরীকে যেই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তাকে ওই পদে নয় বরং ভিন্ন আরেকটি পদে বসানো হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শুরা কমিটি, যা নিয়ে কারও কোন দ্বিমত থাকার কথা না।" মাদ্রাসার নেতৃত্ব নিয়ে কয়েক মাস আগে জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীদের সঙ্গে আহমদ শফী অনুসারীদের বিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে, আহমদ শফী এবং তার ছেলে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের এ পর্যায়ে গত জুনে শুরা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় আহমদ শফী আজীবন মুহতামিম পদে থাকবেন এবং সহকারী পরিচালকের পদ থেকে বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা আহমদ শফীর অব্যাহতি এবং তার ছেলে আনাস মাদানিকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক পদ থেকে বহিষ্কারসহ ছয় দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে৷ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর পর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক তাড়াহুড়া করা হয়েছে বলে মনে করছেন পলিটিকাল স্টাডিজের শিক্ষক জায়েদা শারমিন। আন্দোলনকে শান্ত করার জন্য দ্রুত নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। মিস শারমিন বলেন, "নেতৃত্ব নিয়ে তো এক ধরণের টানাপড়েন ছিলই। তারমধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার দিকটিও নেতৃত্ব বেছে ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটা একটা সাময়িক প্রক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বগুলো এতো সহজে যাবে না। কারণ দ্বন্দ্বটাকে ঠিকভাবে অ্যাড্রেস করা হচ্ছেনা।" আরও পড়তে পারেন: 'টেনশনে' হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয় আহমদ শফীর - ছেলের দাবি আহমদ শফীর জানাজায় লোকারণ্য হাটহাজারী মাদ্রাসা যেভাবে কওমি ধারার একক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন আহমদ শফী গত ২৪শে অগাস্ট কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়া হয়। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও হাটহাজারী মাদ্রাসা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের শর্ত না মানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন দিন আগে মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের বরাতে মাদ্রাসার কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেছেন যে, প্রজ্ঞাপনে শর্ত না মানার যে অভিযোগ করা হয়েছে, মাদ্রাসায় তেমনটা করা হয়নি। তাই মাদ্রাসা খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় বরাবর দরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসার আগেই সোমবার থেকেই ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার মাস্টার্স পর্যায়ের হাইয়াতুল উলিয়া পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল, সেটার কোন রেশ আর মাদ্রাসার ভেতরে নেই বলে উল্লেখ করেন মি. হক। তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার রাতে যখন ছাত্রদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়া হয় তখনই তারা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর থেকে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আর কওমি মাদ্রাসার সব সিদ্ধান্ত নেয় শুরা কমিটি। ছাত্ররা মনে করে তাদের আন্দোলনের জেরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাই তারা সেই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ক্লাসে ফিরে গেছে।"
বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু, এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদে বড় ধরণের রদবদলের পর মাদ্রাসার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান সরকারবিরোধী ২০ দলীয় জোটের শরিক তারা, কিন্তু প্রকাশ্য রাজনীতি কিংবা কর্মসূচীতে অনেকটাই অনুপস্থিত। এমন অবস্থায় কোন দিকে এগুচ্ছে দলটির রাজনীতি? নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক যখন নেই - তখন আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের পরিকল্পনা কী? এ প্রশ্নে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান বিবিসি'কে বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলেই জামায়াতের ভূমিকা দৃশ্যমান হবে - তখন আর কোনো 'অদৃশ্য ভূমিকা' জামায়াতের থাকবে না" তিনি বলছেন - "নির্বাচন কতদূর হচ্ছে সেইটা নিয়েই তো কথা। যদি বিগত সিটি কর্পোরশেন মার্কা ইলেকশন হয়, সেটাতো কোনো ইলেকশন হবে না। যদি ১৪ সাল মার্কা ইলেকশন হয়, এটাতো কোনো ইলেকশন হবে না। যদি সুষ্ঠু ইলেকশন হয়, জামায়াতের ভূমিকা আপনার দৃশ্যমান দেখতে পারবেন। কোনো অদৃশ্য ভূমিকা জামায়াতের থাকবে না" "আমরা হারিয়ে যাই নি। সময়ের ক্যালকুলেশন করেই আমরা আগাচ্ছি। যখন যেটা দরকার। আপনি দেখবেন প্রকাশ্য বিভিন্ন কর্মসূচীতে আমাদের নেত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন। আমাদের নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম আমরা চালাচ্ছি। আমাদের বক্তব্য বিবৃতি নিয়মিত আছে।" দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক না থাকায় সমস্যা হবে কিনা - এ প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, নিবন্ধন ফিরে পেতে তারা আপীল করেছেন। "ন্যায়বিচার যদি আমরা পাই, আশা করি অবশ্যই আমরা নিবন্ধন ফিরে পাবো। নিবন্ধন যদি পাই প্রতীকও আমরা ফিরে পাবো। যদি প্রতীক এবং নিবন্ধন কোনোটাই ফিরে না পাই। তারপরেও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে এবং প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকবে ইনশাআল্লাহ।" ঢাকায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় জামায়াতের এ শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই দলটি নির্বাচন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবে। নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ফিরে না পেলে বিএনপির প্রতীকে তারা নির্বাচনে যাবে কি? এ প্রশ্নে মি. রহমান বলেন, "জোটের কোনো প্রতীক নাই। বিএনপির প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ। একটা দল আরেকটা দলের প্রতীক নেবে কিনা সেটা আমাদের সিদ্ধান্তকারী যে বডি আছে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। অনেকগুলো অপশনই আমাদের সামনে আছে। নির্বাচনে গেলে এটা আমাদের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।" এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রণ্ট নামে গঠিত সরকারবিরোধী জোটে না থাকলেও এতে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে জামায়াত। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জামায়াতও একই আদলে আটদফা দাবি তুলে ধরেছে। জামায়াত হাইকমান্ড জানাচ্ছে, আগামীতে দাবি আদায়ের আন্দোলনে রাজপথের কর্মসূচীতেও থাকার পরিকল্পনা আছে তাদের। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: একঘরে পরিস্থিতি সামলাতে জামায়াতে নানা মত জামায়াত কোথায় কোথায় শক্তিশালী, কেন? জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ : হাইকোর্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল 'জামায়াত হারিয়ে যায় নি, পরিস্থিতি বুঝে এগুচ্ছে' এদিকে ডা. শফিকুর রহমান দলীয় নেতৃত্বের যে অবস্থানে আছেন জামায়াতের একই পদে নেতৃত্ব দিতেন আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দলের আমীর থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মৃত্যুদন্ড হওয়ার পর দলটির বর্তমান নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই অপরিচিত। কোনো কর্মসূচী বা দাবি দাওয়া নিয়ে তাদেরকে প্রকাশ্যে দেখাও যায় না। অনেকের ধারণা জামায়াত রাজনীতিতে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের ভাষায়, "গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের নেতৃত্বের প্রতিটি ইউনিট থেকে শুরু করে আমীর পর্যন্ত নির্বাচিত হন। যাদেরকে আমরা হারিয়েছি তা তো অবশ্যই জামায়াতের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। কিন্তু পদ্ধতির কারণেই জামায়াত ঐরকম কোনো ক্ষতির মুখে পড়ে নাই।" এদিকে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রায়ের পর এবং ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে রাজপথে ব্যাপক সহিংসতা হয়। একদিকে সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের যেমন জামায়াত নির্দোষ মনে করে অন্যদিকে সহিসংতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগও অস্বীকার করে দলটি। কিন্তু বাংলাদেশের একটা বড় অংশই মনে করে পেট্রোল বোমা সহিংসতার দায় এড়ানোর সুযোগ জামায়াতের নেই। এ ব্যাপারে ডা. শফিকুর রহমান বলছেন, "কে করেছে? সেটা নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। আমরা এটাকে ঘৃণা করি। যেকোনো ভায়োলেন্সকে। যদি আমাদের কারো ব্যাপারে সেরকম কিছু আসে। দল তার কোনো দায়িত্ব নেবে না। আমরা এ ধরনের কোনো ইনস্ট্রাকশন কোনো সিদ্ধান্ত কাউকে দেইনি। অবশ্যই প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।" ভবিষ্যৎ কর্মসূচী সহিংসতার আশঙ্কার নিয়ে প্রশ্নে মি. রহমান বলেন, "কোনো ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজন হলে তো আমরা অবশ্যই রাজনৈতিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবো। কিন্তু আমাদের কর্মসূচীর পদ্ধতি হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ।" ১৯৭৭ সালে জামায়াতে ইসলামী নতুন নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে "কিন্তু সরকারি তরফ থেকে সেটা রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক যদি আমাদের অধিকারের ওপরে আঘাত দেয়া হয় তাহলে আত্মরক্ষার চেষ্টাতো সবারই করার অধিকার সেটাতো করবেই। কিন্তু আমরা নিজের থেকে কোনো ভায়োলেন্সে যাব না।" পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতের নেতৃত্ব কী রকম রাজনৈতিক ভিশন নিয়ে আগাচ্ছে এ প্রশ্নে মি. রহমান বলেন, "আমরা এখনই জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেয়ার স্বপ্ন দেখি না। কিন্তু নির্যাতিত মানবতা মুক্তি পাক - সেই স্বপ্ন আমরা দেখি।" "আপনি বলবেন, দল ক্ষমতায় না গেলে সেটা কিভাবে হবে? সেটা দল এককভাবে হতে পারে, জোটের রাজনীতির ভিত্তিতে হতে পারে। এমনকি আওয়ামী লীগও যদি তার আদর্শ হিসেবে কোরান সুন্নাহকে ইসলামের কল্যাণকর দিককে গ্রহণ করে। আমরাতো তাদের প্রতিপক্ষ হবো না।" "অবশ্যই ক্ষমতার আমাদের ভিশন আছে। কিন্তু সেটা আমরা মনে করি যে অর্জন করার জন্য বেশকিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। সেই প্রস্তুতিতেই আমরা আছি। তিনি বলেন, "আপনি জানতে চাইছেন যে আমাদের টাইমলাইন সামনে আছে কিনা। আছে। সিকি শতাব্দীর ভিতরেই এখানে (বাংলাদেশে) বড় ধরনের একটা পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ। এতসময় নাও লাগতে পারে"।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত প্রায় ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যুদ্ধাপরাধের বিচার, দলের নিবন্ধন বাতিলসহ নানা ইস্যুতে দলটি দৃশ্যত বিপর্যস্ত।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের বেঁচে থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারতে মেয়েদের তুলনায় পুরুষরা ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন বেশি। কারণ ভারতে মেয়েদের মধ্যে যেসব ক্যান্সার দেখা যায় তার ৭০% এই স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল(গর্ভাশয়ের), ডিম্বাশয় এবং জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্তের ঘটনা দেখা যায়। ফেসবুকে কিশোরীর মৃতদেহের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় ঢাকায় মরদেহ কবর দেয়ার জায়গার এত অভাব কেন? সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচে থাকা সম্ভব। আর দেশটির পুরুষরা মূলত ফুসফুস ও মুখের ক্যান্সারে ভোগে। দুটোই ধূমপান এবং তামাকের ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণ-ঘাতী এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বলা হচ্ছে, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতে মহিলাদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন ক্যান্সারের সমস্যা যা সেখানকার নারীদের ২৭% ক্যান্সারের জন্য দায়ী। গত কয়েক বছরে যার হার বেড়েছে। ভারতে মেয়েদের মধ্যে যেসব ক্যান্সার হয় তার মধ্যে স্তন, গর্ভাশয়, ডিম্বাশয় এবং জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্তের ঘটনা বেশি। মহিলাদের স্তন ও ডিম্বাশয়ে ক্যান্সারের ঘটনাগুলো বেশি দেখা যা ৪৫ থেকে ৫০ বছরের দিকে । উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে তা ষাট বছরের দিকে দেখা যায়। জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে সেটি হতে পারে। ক্যান্সার অনেকসময় জিনগত রোগ হিসেবে হএয়ে থাকে। যে কারণে অনেক পরিবারে একাধিক মানুষের মাঝে স্তন ক্যান্সার দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভারতে যে স্তন ক্যান্সার হচ্ছে তার ১০ শতাংশের নিচে হচ্ছে উত্তরাধিকার সূত্রে । ফলে মহিলাদের বেশিরভাগ ক্যান্সারের কারণ অনুসন্ধানে জিনগত স্ক্রিনিং খুব একটা কাজে আসবেনা। তারপর অঞ্চলগত বৈচিত্র্য রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় স্তন ক্যান্সারে ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর কারণ বলতে পারছেন না। তারা শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির এবং রোগ পরীক্ষার হার বৃদ্ধির বিষয়ে ধারণা দিচ্ছেন। ভারতের নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন ক্যান্সার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর পরিচালক ও গবেষক ডক্টর রবি মেহরোত্রা বিশ্বাস করেন, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণগুলি চর্বিযুক্ত খাবার, স্থূলতা, দেরিতে বিয়ে, কম সন্তান সংখ্যা, প্রসবের পর পর্যাপ্ত বুকের দুধ না খাওয়ানো -এসবই দ্রুত নগরায়নের দেশটিতে বেশি করে এই ধরনের ঘটনার কারণ। তিনি আরও বলেন, অনেক নারীর ক্ষেত্রেই ক্যান্সার দেরিতে ধরা পড়ে সচেতনতার অভাবে এবং চিকিৎসকের কাছে যেতে অনিচ্ছার কারণে। কিন্তু আমেরিকাতে ৮০% স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় স্তরেরই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে ভারতে বেশিরভাগ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ ধাপে গিয়ে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তরা পাঁচবছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। যেটি সহজে মোকাবেলা করা সম্ভব সেটি হচ্ছে সার্ভিকাল ক্যান্সার মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি থেকে সৃষ্ট এবং ভারতে মহিলাদের ২৩% ক্যান্সারের জন্য দায়ী। ২০০৮ সাল থেকে ১১-১৩ বছরের মেয়েদের এইচপিভি ভাইরাসের টিকা কর্মসূচি শুরু হয় । বিশ্বজুড়েই এই ভাইরাসের দ্বারা ক্যান্সার আক্রান্তের ঘটনা কমে এসেছে। ভারতেও এখন দিল্লি এবং পাঞ্জাবেই কেবল এইচপিভি ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বহাল রয়েছে। তবে ভারতে এখনো নারীদের ক্ষেত্রে সার্ভিকাল ক্যান্সার বা গর্ভাশয়ের ক্যান্সার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের এক-চতুর্থাংশের মৃত্যুর কারণ এটি। ভারতে কার্যকর একটি ক্যান্সার প্রতিরোধ কৌশল প্রয়োজন " এটি সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ যোগ্য। গর্ভাশয়ের ক্যান্সারে কোনও মহিলার মৃত্যু কাম্য নয়। " সেজন্য প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও খোলামেলা এবং জোরালো-ভাবে কথাবার্তা বলতে হবে। সেইসাথে এইচপিভি-কেও সরকারের বিনামূল্যে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে । ল্যানচেট ক্যান্সার বিষয়ে ভারতের পাঞ্জাবের নারীদের নিয়ে এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী পাঞ্জাবিদের নিয়ে সমান্তরালভাবে গবেষণারও পরামর্শ দিয়েছে। এর ফলে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে জিনগত এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে বলে তারা মনে করছে। ১৯৭৬ সালে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিয়েছিল যে দেশ তারা ক্যান্সার প্রতিরোধে জিডিপির মাত্র ১.২% শতাংশ ব্যয় করেছে। তবে এবছর সরকার বিনামূল্যে মুখ, স্তন এবং গর্ভাশয়ের ক্যান্সার শনাক্তকরণ কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে দেশের ৭০০ জেলায়। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড: মেহরোত্রা বলছেন, কিছু অগ্রগতি হচ্ছে। তবে অনেক প্রশ্নের সমাধান পেতে এখনো লম্বা পথ পেরোনো বাকি।
চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ল্যানচেট এর এক গবেষণা বলছে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ক্যান্সার ধরা পড়ছে বেশি। বিশ্বজুড়ে নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেশি। সেখানে ভারতে উল্টো চিত্র ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫ হাজার ২৫১ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১,৪৩৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ দশমিক ৭১ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যদিও জুন-জুলাই মাস নাগাদ এই শনাক্তের হার প্রায় ২৫ শতাংশে উঠেছিল। অর্থাৎ তখন প্রতি চারজনের পরীক্ষায় একজন নতুন রোগী শনাক্ত হতো। কিন্তু বর্তমান হার অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনের পরীক্ষায় একজন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। তবে সুস্থতার হার ৭৫.৭৯ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার প্রতি দশ লাখ মানুষের মধ্যে ২ হাজার ২১৫ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে প্রতি ১০ লাখের মধ্যে ১৬০৭ জন। আর দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৭৮৯ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৭ জন। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৫ জনের। বর্জ্য পানিতে করোনাভাইরাস যেভাবে পূর্বাভাস দিতে পারে কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস: শুধু বয়স্ক নয়, তরুণরাও মারাত্মক আক্রান্ত হতে পারে চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি?
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইউরোপে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রজেনেকোর টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস এখন বিশ্বের সপ্তম দেশ যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া স্থগিত করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে যে সাবধানতার জন্য আপাতত ২৯শে মার্চ পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া স্থগিত থাকবে। এর আগে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড এবং থাইল্যান্ডও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা স্থগিত করেছে। নরওয়ে এবং ডেনমার্কে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়া প্রায় ৪০ জনের শরীরে রক্ত জমাটের খবরের পর এই টিকার সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উগো দ্য জং এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সন্দেহ দেখা দিলে তা আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমাদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, সুতরাং এই টিকা আপাতত স্থগিত রাখা সঠিক এবং সুচিন্তিত।“ বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই চলবে বাংলাদেশে দুই মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত নেদারল্যান্ডস এক কোটি ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছে, এবং আগামী দু'সপ্তাহে প্রায় তিন লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রক্ত জমাটের ওই সব ঘটনার সাথে এই টিকার যোগসূত্রের কোনো প্রমাণ নেই। ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইমা - যারা রক্ত জমাট বাধার ঘটনাগুলো তদন্ত করছে - বলেছে, এই টিকা নেওয়ার সুফল সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি। ব্রিটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণেই যে রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটেছে তার কোনো প্রমাণ নেই। ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তারা বলেছে যে ডাক পেলেই যেন তারা টিকা নিয়ে নেয়। সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে ব্রিটেনে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকেও মানুষজনকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক বিবৃতিতে এই ভ্যাকসিন নির্মাতা বলেছে, তাদের টিকার সাথে রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তারা বলছে, ইউরোপে এক কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৭টির মত রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটেছে, এবং যারা এই টিকা নেয়নি তারাও একই সময়ে সমান সংখ্যায় রক্ত জমাটের শিকার হয়েছে। কোম্পানির প্রধান মেডিকেল অফিসার অ্যান টেইল বলেন, “ইউকে এবং ইইউতে প্রায় এক কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই আমাদের টিকা নিয়েছেন। এমনিতেই শত শত মানুষ স্বাভাবিক সময়েই রক্ত জমাটের শিকার হন। সেই তুলনায় ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের মধ্যে রক্ত জমাটের সংখ্যা অনেক অনেক কম।“ তিনি বলেন, মহামারির কারণে বিচ্ছিন্ন প্রতিটি ঘটনার ওপর এখন নজর অনেক বেশি, এবং “মানুষের নিরাপত্তার জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ার ওপরও স্বাভাবিক এবং প্রচলিত নজরদারির চেয়ে অনেক বেশি নজরদারি হচ্ছে।“ বর্তমানে বিশ্বের ৬৫টি দেশ এবং অঞ্চলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকোর এই টিকা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মত কিছু জায়গায় শুধু এই টিকাটিই ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মিশেল রবার্টস বলেছেন, যদিও দ্রুত গতিতে গণহারে মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু টিকা নিয়েও অনেক মানুষই নানা ধরণের রোগের শিকার হবেন, যার সাথে এই ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্কই নেই। তিনি বলছেন, কিছু দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করছে এ কারণে নয় যে এটি বিপজ্জনক। বরঞ্চ সেসব দেশের বিশেষজ্ঞরা দেখতে চাইছেন কেন টিকা নেওয়া কিছু মানুষের শরীরে রক্ত জমাট হলো। মিশেল রবার্টস বলেন, টিকা নেয়ার পরপরই যদি বড় কোনো অসুস্থতা দেখা দেয়, তাহলে তা নিয়ে উদ্বেগের যথার্থ কারণ থাকতে পারে। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: দাড়ি থাকায় চাকরি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ আড়ংয়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে একদিনেই নিহত হলো ৩৮ জন বিক্ষোভকারী কেন 'শত্রু দেশ' ইসরায়েল গিয়েছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট সাদাত
অ্যাস্ট্রাজেনেকোর তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে স্পষ্টতই ইউরোপে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নোবুকাজু কুরিকি নোবুকাজু কুরিকি নামে ৩৫ বছর বয়েসের এই পর্বতারোহীকে সোমবার সকালে তার তাঁবুর বাইরে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান শেরপারা। নেপাল সরকারের একজন কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন। তার মৃতদেহ এখন রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার জন্য মি. কুরিকির এটি ছিল অষ্টম চেষ্টা। ঠিক কী পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু হয় তা জানা যায় নি। এর আগে ২০১২ সালে এভারেস্টে ওঠার চেষ্টার সময় প্রচন্ড ঠান্ডায় মি. কুরিকির হাতের আঙুলে ফ্রস্টবাইট বা ঠান্ডাজনিত ক্ষত দেখা দেয়। এর পর তার নয়টি আঙুলই কেটে বাদ দিতে হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'বাংলাদেশে মাদকাসক্ত ফিলিপিনের চেয়েও বেশি' ফটো শেয়ার: 'বাচ্চাদের ঝুঁকিতে ফেলছেন বাবা-মা' ঈদের বাজারে জাল নোটের ঝুঁকি, কীভাবে চিনবেন? মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কিন্তু তাতেও তিনি উদ্যম হারান নি। ২০১৫ সালে তিনি মাত্র একটি আঙুল নিয়েই এভারেস্টে আরোহণের জন্য আবার নেপালে ফিরে আসেন। সবশেষ এ বছরের চেষ্টার বিবরণ তিনি ফেসবুকে ভিডিও আপডেট দিয়ে জানাচ্ছিলেন। সবশেষ বার্তাটি তিনি দেন রোববার। তাতে তিনি লেখেন, এ পর্বতে ওঠা কত কষ্টকর তা তিনি অনুভব করতে পারছেন। সোমবার সকালে এভারেস্টের ২৯ হাজার ২৯ ফিট উঁচু শৃঙ্গের ৪ হাজার ৬শ ফিট নিচে ক্যাম্প-টুতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ মাসেই এমন একজন চীনা পর্বতারোহী এভারেস্টে ওঠেন - যিনি ১৯৭৫ সালে ফ্রস্টবাইটের কারণে তার দুই পা হারিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চাকরিতে বিদেশীদের নিয়োগ নিয়ে কী বলছে মানুষ? নারীর পেটে যেভাবে এলো একশোর বেশি কোকেন ক্যাপসুল হৃদরোগ ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত চারদিন ব্যায়াম
জাপানের একজন পর্বতারোহী - যার হাতের নয়টি আঙুল ঠান্ডায় জমে ঘা হয়ে যাওয়ায় কেটে বাদ দিতে হয়েছিল - তিনি অষ্টম বারের মতো এভারেস্টের শৃঙ্গে আরোহণের চেষ্টা করতে গিয়ে মারা গেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আটকের পর মো: সাহেদ আটকের পর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে র‍্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয়। পরে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। এর আগে ঢাকায় আসার পরপরই সদর দপ্তর থেকে তাকে সাথে নিয়ে উত্তরায় তার একটি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। সেখানে র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান যে সদর দপ্তরে নেয়ার পর একটি তথ্য পেয়েই উত্তরার অফিসে তাকে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন তারা। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে শুরু করে ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালানোর পর আবার সাহেদ করিমকে নিজেদের সদর দপ্তরে নিয়ে যায় র‍্যাব। এর আগে সকালে সাতক্ষীরায় তাকে আটকের পর র‍্যাব-এর কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার এড়াতে মো. সাহেদ ছদ্মবেশ ধারণ করে। তিনি বলেন, "বোরকা পরে একটি নৌকায় উঠার চেষ্টা করছিলেন মো. সাহেদ। তখনই তাকে আটক করা হয়।" র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, "নৌকায় ওঠার আগেই আমরা ধরে ফেলেছি, মূলত পাড়ে। আমরা তাকে অনুসরণ করছি বিভিন্ন জায়গায়। সে ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল।" "সে তার চুলের রং চেঞ্জ করেছে, গোঁফ কেটে ফেলেছে। তার চুল সাধারণত সাদা থাকে, সে কালো করে ফেলেছে। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। সে ইন্ডিয়াতে গেলে হয়তো করতো।" র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, নৌকার যে মাঝি মো. সাহেদকে নদী পার হতে সহযোগিতা করছিল, সে পালিয়ে গেছে। "সে মাঝি আসলে খুব ভালো সাঁতার জানে। উপস্থিতি টের পেয়ে সে সাঁতরিয়ে চলে গেছে। সে (সাহেদ) মোটা মানুষ সেজন্য হয়তো সে পালাতে পারে নাই। সেজন্যই সে (সাহেদ) ধরা পড়েছে। " র‍্যাব দাবি করছে, সাতক্ষীরায় এ নৌকার সাহায্যে নদী পার হতে গিয়ে ধরা পড়ে মো: সাহেদ আটকের পর মো: সাহেদ টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ পলাতক ছিলেন। তখন থেকেই র‍্যাব বলে আসছিল যে মো. সাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‍্যাব জানিয়েছে, ভারতে পালিয়ে যাবার আগ মুহূর্তে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করা হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পাকিস্তান ছেড়েছেন আসিয়া বিবি ব্লাসফেমির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসিয়া বিবি আট বছর জেল খাটেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাকে মুক্তির আদেশ দেন ২০১৮ সালে। তিনি ২০১০ সালে প্রতিবেশীর সাথে বিবাদে জড়ালে ইসলামের নবী মোহাম্মদ নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ উঠে। আসিয়া বিবি নিজে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। আসিয়া বিবি অবশ্য সব সময় তার বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনে কোন অমুসলিম নারী হিসাবে প্রথম দণ্ডিত হয়েছেন পাঁচ সন্তানের মা আসিয়া বিবি। এই বিষয়ে আরো পড়ুন: পাকিস্তানে আসিয়া বিবিকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চায় কানাডা প্রাণভয়ে পাকিস্তান ছেড়ে পালালেন আসিয়া বিবির আইনজীবী এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি ব্লাসফেমির কারণে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। আসিয়া বিবি মুক্তি পাওয়ার পরেই তার স্বামী এবং আইনজীবী বলেছিলেন তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা পাকিস্তান থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন এবং বেশ কয়েকটি দেশ তাদেরকে আশ্রয় দেবে জানিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল কানাডা। তবে তিনি কোন দেশে গেছেন সেই বিষয়ে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায় নি। তবে তার আইনজীবী সাইফ উল মালুক বিবিসিকে বলেছেন, আসিয়া বিবি ইতিমধ্যে কানাডা পৌঁছেছেন। সেখানে তার দুই মেয়েকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসিয়া বিবির আরেকটি নাম আসিয়া নরেন। দেশ ত্যাগের আগে তাকে একটা গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা বাতিল করে দিলে পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছিল ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থকরা। অন্যদিকে, আরেকটি পক্ষ তার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। বিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? 'রমজান' কীভাবে 'রামাদান' হয়ে উঠেছে ভারতে আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে?
পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত আসিয়া বিবি পাকিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কোয়ারেন্টিন শেষে ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরী থেকে নেমে আসা এক যাত্রী কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৫৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ভাইরাস সংক্রমিত হয়, যা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে একক কোনো জায়গায় ভাইরাস সংক্রমিতদের সবচেয়ে বড় জমায়েত। জাহাজের যাত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে প্রমোদতরীর ভেতরে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থার কঠিন পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন। জাহাজের ভেতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত হওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪ জন মারা গেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে। চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশে আরো ৭০০ জনের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস। ডায়মন্ড প্রিন্সেসে মোট ৩ হাজার ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন বুধবার হংকং জানিয়েছে যে সেখানে ভাইরাস সংক্রমণে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স, জাপান, ফিলিপিন্স ও থাইল্যান্ডে একজন করে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার চীন ৪৪ হাজার ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য নিয়ে বিস্তারিত এক গবেষণা প্রকাশ করেছে, যেখানে উঠে এসেছে যে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার আগে থেকে অসুস্থ এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশি। জাহাজে মানুষের মধ্যে দিনকে দিন আতঙ্ক বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন শেফ বিনয় সরকার জাহাজ থেকে নেমে কোথায় যাচ্ছেন যাত্রীরা? ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে নামা যাত্রীরা জাহাজ থেকে নেমেই ইয়োকোহামা বন্দরে থাকা ট্যাক্সিতে করে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। যারা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় এবং যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গও প্রকাশিত হচ্ছে না, এরকম ৫০০ মানুষের বুধবার ছাড়া পাওয়ার কথা। আগামী কয়েকদিনে আরো বহু মানুষের ছাড়া পাওয়ার কথা। জাহাজে মোট ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী ছিল। যাদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি কিন্তু তারা সংক্রমণের শিকার মানুষের সাথে কেবিনে ছিলেন - এমন ব্যক্তিদের অতিরিক্ত কোয়ারেন্টিন করা হবে, কাজেই তারা জাহাজ ছেড়ে বের হতে পারবেন না। ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকরা ছিলো। বিবিসি সংবাদদাতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে এই যাত্রীরা সারাবিশ্বে ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন। গত ১৪দিন কেবিনে আটকে ছিলেন জাহাজের যাত্রীরা জাহাজটি কোয়ারেন্টিন করা হলো কীভাবে? প্রমোদতরীটিকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। এর আগে ভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ায় ঐ জাহাজ থেকে এক ব্যক্তিকে হংকং বন্দরে নামিয়ে দেয়া হয়। যাত্রীদের শুরুতে তাদের নিজ নিজ কেবিনে আলাদা করে রাখা হয়, পরে বিচ্ছিন্নভাবে তাদের ডেকে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়। কোয়ারেন্টিনে থাকা স্বত্ত্বেও জাহাজটিতে ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাহাজে ৫৪২ জন যাত্রী ভাইরাসে আক্রান্ত যাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক দেশ এরই মধ্যে তাদের নাগরিকদের আলাদাভাবে সরিয়ে নিয়েছে অথবা কিছুদিনের মধ্যেই সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন সংক্রমণ বাড়লো কেন? জাহাজটিকে কোয়ারেন্টিন করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কেনতারো ইওয়াতা মঙ্গলবার এক ভিডিও পোস্ট করে জাহাজের পরিস্থিতিকে 'সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলাপূর্ণ' বলে মন্তব্য করেন। জাহাজ পরিদর্শনের পর তিনি মন্তব্য করেন যে জাহাজে 'সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত' ছিল কারণ সেখানে সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে সুস্থদের আলাদা করার ব্যবস্থা খুবই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। জাপানের কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের নিজেদের নেয়া ব্যবস্থার পক্ষেই সাফাই গেয়েছে। তারা বলেছে অধিকাংশ সংক্রমণের ঘটনা কোয়ারেন্টিন শুরু হওয়ার আগেই ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিক ঐ জাহাজ থেকে ফিরবে, তাদের আরো ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার ঘোষণা দিয়েছে সেসব দেশের কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে তারা তাদের দেশের নাগরিক ছাড়া ডায়মন্ড প্রিন্সেসের অন্য কোনো যাত্রীকে নিজেদের দেশে প্রবেশ করতে দেবে না। আরো খবর: কম দক্ষদের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি করতে যাচ্ছে ব্রিটেন ব্যাংক থেকে হরদম ঋণ নিচ্ছে সরকার - কেন? এবার ট্রাম্পের জন্য দেয়াল উঠছে ভারতে যে কারণে আর কোন যৌনকর্মীর জানাজা পড়াবেন না গোলাম মোস্তফা
জাপানের ইয়োকোহামায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে যাত্রীরা নামতে শুরু করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মেক্সিকোয় প্রায়ই নারীদের নিখোঁজ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যার খুব কমক্ষেত্রেই বিচার হয়ে থাকে। খবরে জানা যাচ্ছে, গ্রেপ্তারের পর পুরুষটি অন্তত ২০জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। দম্পতির ফ্লাট এবং কাছাকাছি একটি জায়গায় মানব শরীরের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একটি বালতি এবং ফ্রিজে রাখা ছিল। তদন্তকারীরা বলছেন, এই দম্পতি শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন, কিন্তু কাদের কাছে বিক্রি করতেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গ্রেনেড হামলা মামলা: যেভাবে ঘটনার শুরু থেকে শেষ যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিএনপির সাথে অন্যদের 'ঐক্য' আটকে আছে যে কারণে বাংলাদেশে এখনও কি চিঠি লিখে মানুষ? নারীদের হত্যা করা মেক্সিকোতে নতুন কোন ঘটনা নয়, যার জন্য বেশিরভাগ সময় কোন বিচার হয় না। কিন্তু এই ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ পাওয়ার পর দেশটিতে ক্ষোভের তৈরি করেছে। মেক্সিকো সিটির শহরতলীর সড়কে অনেকে বিক্ষোভ করেছেন। নিহতের সন্তান বিক্রি গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ন্যান্সি হুইট্রন এবং তার দুই মাস বয়সী সন্তান, ভ্যালেন্টিনা। গত ৬ই সেপ্টেম্বর বড় দুই সন্তানকে স্কুলে দিয়ে আসার পর থেকে ন্যান্সি আর তার ছোট সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিন সন্তানের একক মা ন্যান্সি হুইট্রন, যা প্রতিবেশীদের সন্দিহান করে তোলে। এরপরই ন্যান্সির প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রবণ হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দম্পতি মিলে একটি বাচ্চা বহনের ট্রলি বা প্রাম ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে তারা দেখতে পান। পুলিশ তাদের থামিয়ে সেটি তল্লাশি করলে তার ভেতর মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পায়। মিজ হুইট্রনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওই ব্যক্তি, যার নাম হুয়ান কার্লোস বলে জানানো হয়েছে। সে স্বীকার করেছে যে, ২৩ বছরের অর্লেট অলগুইন এবং ২৯ বছরের ইভলিন রোহাসকেও তারা হত্যা করেছে। এই তিনজনই একক মা ছিলেন, যারা গত কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। শিশু ভ্যালেন্টিনাকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, যাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। সে এখন তার নানীর সঙ্গে রয়েছে। কৌসুলিরা জানিয়েছেন, সে আরো স্বীকার করেছেন যে, হত্যার আগে কোন কোন নারীকে তারা যৌন নির্যাতনও করেছে। শরীরের অঙ্গ বিক্রির পাশাপাশি তাদের জিনিসপত্র তারা বিক্রি করে দিতো। বিচারহীনতা তদন্তকারীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীরা হুয়ান কার্লোস এবং তার সঙ্গী, প্যাট্রিসিয়ার কাছ থেকে পোশাক এবং খাবার কিনতেন। ভালো কাপড় রয়েছে, এরকম তথ্য দিয়ে এই নারীদের একটি জায়গায় নিতে আসতেন প্যাট্রিসিয়া। এরপর তাদের হত্যা করা হতো। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের সময় হুয়ান কার্লোস পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে গোছল করতে দেয়ার অনুরোধ করেন যেন, সে একটি স্যুট পড়ে মিডিয়ার সামনে আসতে পারে। কারণ ''সে কোন নোংরা অপরাধী নয়'' বলে পুলিশকে জানায়। মেক্সিকো স্টেটে দেশটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৩৯৫ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০৭ জনই নারী। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসবের কোন সমাধান বা বিচার হয় না।
নারীদের হত্যার পর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির অভিযোগে এক দম্পতি গ্রেপ্তারের পর তদন্ত শুরু করেছে মেক্সিকোর পুলিশ। এই দম্পতি অন্তত ১০জন হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
শরণার্থী, অভিবাসী, আশ্রয় প্রার্থী - বিভিন্ন নাম দেয়া হয় এক দেশ থেকে আরেক দেশে স্থানান্তরিত হওয়া জনগোষ্ঠীকে। এসব নাম আপনি প্রায়ই শুনে থাকবেন: অভিবাসী, শরণার্থী বা আশ্রয় প্রার্থী। কিন্তু নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দেয়া মানুষকে কীসের ভিত্তিতে ভিন্ন নামকরণ করা হয়? সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন বিষয়ক কেন্দ্রের শিক্ষক শার্লট টাইলরের গবেষণার বিষয় এটি‌ই। সীমান্ত পাড়ি দেয়া মানুষকে মিডিয়া কেন এবং কী ভিত্তিতে ভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে - সেবিষয়ে লিখে থাকেন তিনি। ভিনদেশে পাড়ি দেয়া মানুষের ভিন্ন নামকরণের কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। অভিবাসী অভিবাসী - এই পরিভাষাটি আপনি প্রায়ই শুনে থাকবেন। অভিবাসী সাধারণত এমন কাউকে বলা হয়, যে উন্নত জীবনযাত্রা বা কর্মসংস্থানের খোঁজে স্থান পরিবর্তন করে থাকেন। অর্থাৎ, আপনি যদি বাংলাদেশের অধিবাসী হন এবং বছরে কয়েকমাস কাজের খোঁজে বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ভারত বা নেপালে অবস্থান করেন, তাহলে আপনাকে অভিবাসী বলা যাবে। আরো পড়তে পারেন: 'যেভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলাম' মোবাইল ‍সেটও নিবন্ধন করতে হবে: যা জানা দরকার মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা গত দেড় বছরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। শার্লট টাইলরের মতে, "অভিবাসী যথেষ্ট নিরাপদ একটি পরিভাষা। এমন নয় যে এটি ভবিষ্যতেও নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হবে, তবে বর্তমানে অভিবাসী বেশ নিরাপদ একটি পরিভাষা।" তবে রাজনৈতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়। কোনো ব্যক্তি যখন বিশেষ কোনো শাসনাবস্থা থেকে দূরে যেতে চায়, তখন এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। একটি দেশে ক্রমাগত অভিবাসীদের আগমন হতে থাকলে যখন সেই সংক্রান্ত খবরে বা লেখায় 'ঢল', 'জোয়ার' বা 'বন্যা'র মত শব্দ ব্যবহার করা হয়, তখন অভিবাসীদের সাথে 'অমানবিক' আচরণ করা হয় বলে মনে করেন মিজ. টাইলর; কারণ এরকম শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে অভিবাসীদের 'পণ্য' হিসেবে মূল্যায়ণ করা হয় বলে মনে করেন তিনি। প্রবাসী ভিনদেশে স্থায়ীভাবে যখন কেউ বসবাস করতে আসে তখন তাদের সাধারণত প্রবাসী বলা হয়ে থাকে। এই ধরণের মানুষ সাধারণত নিজের ইচ্ছাতেই নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমান। কর্মসংস্থান বা উন্নত জীবনের খোঁজের পাশাপাশি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কারণেও অনেকে স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। জোর পূর্বক বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়, স্বেচ্ছায় ও স্বতস্ম্ফূর্তভাবে যারা স্থায়ীভাবে বিদেশে পাড়ি জমান তাদের প্রবাসী বলা হয়ে থাকে। সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার একটি উদ্ধারকারী জাহাজ। শরণার্থী শরণার্থী বলা হয় এমন কোনো ব্যক্তিকে যিনি যুদ্ধ, গণহত্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে দেশান্তরী হন। শার্লট টাইলর বলেন, "এটি সম্পূর্ণ অন্যরকম একটি পরিস্থিতি।" "যে মুহুর্তে আপনি কাউকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন, তখনই তার নির্দিষ্ট কিছু অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে আপনার।" "তারা এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে, যা তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।" ভূমধ্যসাগরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজে আশ্রয় প্রার্থীরা। আশ্রয় প্রার্থী উপরের সবকটি প্রকারের মিশ্রণ হতে পারে একজন আশ্রয় প্রার্থী; তবে আশ্রয় প্রার্থীর বিশেষত্ব হলো, তিনি নিজ দেশ বাদে অন্য দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুরক্ষার জন্য আবেদন করেন। ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে যারা সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন তাদেরকেই কেবল আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে জানান শার্লট টাইলর। মিজ টাইলর বলেন, "আজকাল আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যেও আসল-নকল শ্রেণিবিন্যাসের একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ক্ষেত্রবিশেষে এটি যৌক্তিক হলেও তাদের আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।" আরো পড়তে পারেন: বিমানে মাতাল যাত্রীকে নিয়ে আসলে কী হয়েছিলো 'খুশিতে,ঠ্যালায়,ঘোরতে': এনিয়ে কেন এতো মাতামাতি ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোন বিভক্তির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে?
এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি জমানো মানুষদের আমরা বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকি।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পুরুষ নির্যাতন দমন আইন চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল এরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমাজে 'পুরুষরাই এখন আসলে বেশি বৈষম্য এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান আইন-কানুন বিচার ব্যবস্থা পুরুষদের বিপক্ষে।' বিশ্বের অনেক দেশে কিছু বেসরকারি সংগঠন সোমবার ১৯শে নভেম্বর 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস' পালন করবে। বাংলাদেশে এই উপলক্ষে ঢাকায় এক 'পুরুষ রক্ষা আন্দোলনের' সূচনা করছে 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন' নামে একটি সংগঠন। এটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ খায়রুল আলম একজন ছোট-খাট ব্যবসায়ী। নারাণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ফুড কোম্পানি ডিলারশীপ নিয়ে ব্যবসা করেন। সেই সঙ্গে একটি পোলট্রি ফার্মও চালান। আর মহাসচিব ফারুক সাজেদ পেশায় প্রকৌশলী। প্রায় দশ বছর প্রবাসে ছিলেন। দুবাই এবং কাতারে কাজ করেছেন। তারা দুজনেই মনে করেন, বাংলাদেশের আইন-কানুন, বিচার-ব্যবস্থা থেকে সবকিছু কার্যত পুরুষদের বিপক্ষে, এখানে পুরুষরা বৈষম্যের শিকার, ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। . মাসখানেক আগে তাদের সংগঠনটি একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। আর আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ করে তারা পুরুষ অধিকার রক্ষায় তাদের আন্দোলনকে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। 'আমরা নির্যাতিত' শেখ খায়রুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, কীভাবে এই সংগঠন করার চিন্তা তার মাথায় আসে। "আমি ব্যবসা করতাম। পারিবারিক সূত্রে আমার বিয়ে হয়। তিন মাস পর আমার স্ত্রীকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ঘরে তুলতে দিচ্ছিল না।" "আমরা পারিবারিকভাবে চাপ দেই, স্ত্রীকে দেয়ার জন্য। কিন্তু ওরা সেটা না করে যৌতুকের মামলা করে আমার বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলে যে আমি স্ত্রীকে মারধর করেছি যৌতুকের জন্য। আমার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান সবাই বলেছেন, এই অভিযোগ মিথ্যে। কিন্তু কোর্ট এই কথা গ্রহণ করেনি।" শেখ খায়রুল আলম বলছেন, এটি তিন বছর আগের ঘটনা। তার ভাষায়, কোর্ট নারী ভিক্টিম যা বললো, সেটাকেই গ্রহণ করলো, এলাকার লোকে কি বললো, সেটা মানলো না। বাবা দিবসে 'মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশনের কর্মসূচী। "প্রথম মামলায় জামিন নিয়ে আসার পর আমার বিরুদ্ধে আবার নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এই অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তারপর আমি ৭৭ দিন হাজত খেটেছি, বিনা অপরাধে" - বলেন মি. আলম। শেখ খায়রুল আলম বলেন, তিনি আদালতে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। অনেক মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তার মনে হয়েছে, পুরুষদের পক্ষে কেউ নেই, পুরুষের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। "আমি আইন ও সালিশ কেন্দ্রে গিয়েছি। উনারা বলে, আমরা পুরুষের কোন কাজ করি না। এরপর ব্লাস্ট বলে আরেকটি সংগঠনের কাছে গিয়েছি। উনারাও বলেন,আমরা পুরুষের কাজ করি না। আমি বললাম, আমি তো নাগরিক এদেশের। নাগরিক হিসেবে আমার আইনের সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। উনারা বললেন, আমরা পুরুষের মামলা করি না। তাহলে আমরা পুরুষরা কোথায় যাব? আমাদের পুরুষদের তো একটা যাওয়ার জায়গা থাকতে হবে।" সেখান থেকেই এই সংগঠনের জন্ম। শেখ খায়রুল আলম তৈরি করলেন, পুরুষদের অধিকার রক্ষার সংগঠন। পুরুষদের মানবাধিকারের পক্ষে 'মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশনের' মিছিল "বাংলাদেশের যে আইন কানুন, যে বিচার ব্যবস্থা সেটা পুরুষের বিপক্ষে চলে গেছে। বাংলাদেশের আইন আসলে পুরুষের বিপক্ষে। আমরা সেটা বদলাতে চাই", বলছেন তিনি। শেখ খায়রুল আলম বলছেন, তারা প্রচুর সাড়া পাচ্ছেন। অনেক পুরুষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। নানা বিষয়ে বুদ্ধি-পরামর্শ চাইছেন। "প্রতিদিন দেশ বিদেশে থেকে আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। অনেকে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু আমরা কি করতে পারি। আইন তো আমাদের পক্ষে না।" ফারুক সাজেদও এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন একজন ভুক্তভোগী হিসেবে। কিন্তু নিজের জীবনের ঘটনা তিনি এখনই প্রকাশ করতে চান না। বললেন, সময় আসলে প্রকাশ করবো। 'পশু অধিকারেরও প্ল্যাটফর্ম আছে, পুরুষের জন্য কিছু নেই' ফারুক সাজেদের মতে, বাংলাদেশে পুরুষদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, বৈষম্যের ব্যাপারটি এখন বিরাট সামাজিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। "বাংলাদেশে সবার জন্য প্লাটফর্ম আছে। নারীদের জন্য, শিশুদের জন্য, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য। এমনকি পশু অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু পুরুষদের জন্য কোন প্লাটফর্ম নেই। বাংলাদেশে পুরুষ এখন এতটাই ভালনারেবল যে তার নামে একটি মামলা দিলে, একটা অভিযোগ করলে, সেটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। সত্য মিথ্যে যাচাইয়ের কোন ব্যাপার এখন আর নেই এখানে।" 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশনের' কাছে প্রতিদিন অনেক ফোন আসে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে এর মধ্যে পারিবারিক সমস্যাই বেশি। কিছু উদাহারণ দিলেন ফারুক সাজেদ। "যেমন ধরা যাক, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে যখনই কোন টানাপোড়েন তৈরি হচ্ছে, তখন স্ত্রী গিয়ে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে একটা ইস্যু তৈরি করে। আজকে সকালেও আমাকে একজন ফোন করে এরকম একটা অভিযোগ করেছে।" তিনি বলছেন, এরকম ক্ষেত্রে পুরুষরা একেবারে অসহায়। অনেকের ক্ষেত্রে, দেনমোহরের অংক যদি অনেক বড় থাকে, তখন পুরুষরা চাইলেও বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটাতে পারছেনা। কিন্তু এটা তো বাস্তবতা যে বাংলাদেশে এই আইনগুলো করাই হয়েছে নারীকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য। কারণ বাংলাদেশে তো তারাই বেশি নির্যাতিত হন। ফারুক সাজেদ বলছেন, "আমরাও মানি, নারীদের জন্য বিশেষ আইন তৈরি করা উচিৎ। কিন্তু আইনটা এমনভাবে তৈরি করা উচিৎ, যেন কেউ এটা পুরুষের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করতে না পারে।" 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন' এখন আইন বদলানোর জন্য আন্দোলন করছে। বাংলাদেশে এখন যে মি টু আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটিও নির্দোষ পুরুষদের হয়রানির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন ফারুক সাজেদ। "আমাদের কথা হচ্ছে, প্রমান ছাড়া যেন কাউকে ভিক্টিম করা না হয়। আমরা সব নির্যাতনের বিপক্ষে। সেটা পুরুষ হোক, নারী হোক। কিন্তু কোন নির্দোষ যেন ভিক্টিম না হয়। যেন সামাজিকভাবে হেয় না হয়।"
বাংলাদেশে যখন হ্যাশট্যাগ মি-টু আন্দোলনের ঢেউ এসে লেগেছে, যৌন নিপীড়নের শিকার হবার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছেন নারীরা - তখন একদল পুরুষ সোমবার 'পুরুষ রক্ষা' আন্দোলনে নামছেন ঢাকায়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
Passengers inside the plane filmed the birds and felt a thud as they hit the engine এই ঘটনায় ২৩জন আহত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন বিমানটি ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় অবতরণ করেছে এবং নামার সময় বিমানের চাকাগুলো খোলেনি। ইউরাল এয়ারলাইনসের ৩২১ এয়ারবাসটি ক্রাইমিয়ার সিমফেরোপলে যাচ্ছিল। বিমানটি ওড়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই এক ঝাঁক চিলের সাথে ধাক্কা খায় এবং ফলে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই অবতরণকে ''রামেনস্কে অলৌকিক অবতরণ'' বলে বর্ণনা করেছে। বিমান সংস্থা বলেছে বিমানটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বিমানটি আর উড়তে পারার অবস্থায় নেই। সরকারি তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে ঝাঁক ঝাঁক পাখি রানওয়ে চিহ্নিত করে বিমান অবতরণ করালো অটোপাইলট নামার সাথে সাথে বিমানটি কাঁপছিলো: প্রত্যক্ষদর্শী রুশ ঐ বিমানে ২৩৩ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিলেন। বিমান পাখিগুলোকে ধাক্কা মারার পর বিমানের ইঞ্জিন সেগুলোকে ভেতরে টেনে নেয়। বিমান চালক সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অজ্ঞাতপরিচয় একজন যাত্রী রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে জানান বিমানটি মাটি থেকে আকাশে ওঠার পর অসম্ভব রকম কাঁপতে শুরু করে। ''পাঁচ সেকেণ্ড পরেই বিমানের ডানদিকে বাতি ফ্লাশ করতে শুরু করে এবং পোড়া গন্ধ বেরতে থাকে। এরপর বিমানটি অবতরণ করে এবং প্রত্যেকে বিমান থেকে বেরিয়ে ছুটে পালায়,'' বলেন তিনি। বিমান পরিবহন সংস্থা রোজাভিয়াৎসিয়া বলছে বিমানটি ঝুকোভস্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটা ভুট্টা ক্ষেতে নেমেছে। বিমানের ইঞ্জিন কাজ করছিল না এবং চাকাও গুটানো ছিল। বিমানটি অবতরণের পর যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয়, কিছু যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং বাকিদের আবার বিমানবন্দরে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে বিমানটি জরুরি অবতরণের পর যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাদের মাধ্যে পাঁচজন শিশু আছে। আহতদের মধ্যে ''কয়েকজনের আঘাত গুরুতর, কয়েকজন মোটামুটি কম আহত হয়েছেন'' বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ইউরাল এয়ারলাইন্স-এর পরিচালক কিরিল স্কুরাতফ্ তাস সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন যেসব যাত্রী তাদের গন্তব্যে যেতে চান, তাদের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার পর তাদের বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রার ব্যবস্থা করা হবে। রুশ সংবাদমাধ্যম এই ঘটনাকে ২০০৯ সালে ইউ এস এয়ারওয়েসের একটি বিমান ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যেভাবে হাডসন নদীর ওপর জরুরি অবতরণ করেছিল তার সাথে তুলনা করেছে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ একটা চলতি সমস্যা। আমেরিকায় বছরে কয়েক হাজার এধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। তবে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা বা বিমানের ক্ষতির ঘটনা প্রায় বিরল।
রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান একটি পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর মস্কোর কাছে একটি ভুট্টা ক্ষেতে জরুরি অবতরণ করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
শ্রেনীকক্ষে আলাদা করে অনলাইনে ভুল তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে হবে কিন্তু বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির দ্বার যেখানে অবারিত খোলা সেখানে শিশুদের কীভাবে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করা যায়? জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই মধ্যে এক খোলা চিঠিতে অনলাইনে ভুল তথ্য শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর অন্যতম বলে উল্লেখ করেছে । চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়েছে, শিশুদের বেশিরভাগই বেড়ে উঠবে ভুল তথ্য মিশ্রিত ডিজিটাল পরিবেশের বাসিন্দা হিসেবে। ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকেন নাসরিন জাহান। তার সন্তানের বয়স আট বছর। তিনি বলছিলেন, তার সন্তানকে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি একটা উপায় বের করেছেন। মিজ নাসরিন বলছিলেন "ইউটিউবে আমার যে অ্যাকাউন্ট সেটা বাচ্চাকে ব্যবহার করতে দেই না। কারণ আমি যে ভিডিওগুলো দেখি সেটা তার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সেজন্য আমার মোবাইলে জি-মেইলে তার জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি"। তিনি বলছিলেন " ঐ ইউটিউব অ্যাকাউন্টে আমার বাচ্চার দেখার উপযোগি ভিডিও সার্চ দিয়ে রেখেছি। আর একবার কোন বিষয় বা কন্টেন্ট সার্চ দিলে অটোমেটিক রিকমেন্ডেশন আসতে থাকে সেই বিষয় বা তার আশেপাশের বিষয় সম্পর্কে"। শিশুরা এমন প্রসঙ্গ বোঝার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু তবুও তাকে জানাতে হবে। এভাবে দেখা যাচ্ছে আমার বাচ্চা বিভিন্ন কার্টুন দেখে বিভিন্ন ভাষায়। "এখন স্প্যানিশ ভাষায় একটা কার্টুন দেখে দেখে সে স্প্যানিশ ভাষাটা কিছুটা শিখে ফেলেছে", বলছিলেন তিনি। নাসরিন জাহানের বাচ্চার বয়স অল্প, সেই কারণে তিনি ইউটিউব ছাড়া অন্যান্য সোশাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে যাওয়াটা নিয়ন্ত্রণ বা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু যেসব শিশুদের বয়স একটু বেশি তাদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়াটা কঠিন। এমনি একজন মা আফিফা ইসলাম। তার সন্তান কলেজে পড়ছে। তিনি বলছিলেন " কলেজ, কোচিং, বন্ধু-বান্ধব সব মিলিয়ে তার জগতটা আলাদা। আর এখন যোগ হয়েছে ফেসবুক। সেখানে কি করে সেটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না" একটা বয়সের পর শিশুদের সাথে ভুল তথ্যের খারাপ দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স সবাইকে পর্যন্ত শিশু ধরা হয়। এখন যারা স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে তারা যাতে ইন্টারনেটে ভুল তথ্যের বেড়াজালে নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে সেজন্য কয়েকটি উপায়ের কথা উল্লেখ করছেন গার্লস চাইল্ড অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি। তিনি বলছিলেন, এখন যেহেতু তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, তাই শিশুদের কে এখান থেকে আটকানো যাবে না বা সেটা ঠিক হবে না। বরং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার ইতিবাচক সমাধান করতে হবে। মিজ জলি বলছিলেন, "অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। "যখন তাদের বয়স ১২/১৩ তখন সন্তানদের সাথে মুক্ত মন নিয়ে আলোচনা করতে হবে"। "কারণ ইন্টারনেটে কখন কি দেখছে সেটা সব সময় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। এরচেয়ে বরং তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে কোনটার ভালো দিক কি, এবং কোনটার খারাপ দিক কোনটা"। তিনি বলছিলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অভিভাবকদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সাথে সাথে যেসব বিষয় আমরা সচরাচর কথা বলি না সেসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। ইউনিসেফের চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, "অনলাইনে ভুল তথ্য ইতিমধ্যে শিশুদের অনলাইনে যৌন হয়রানি, অমর্যাদা এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলছে"। মিজ জলি বলছিলেন, এখানে স্কুল, কলেজের একটা ভূমিকা রয়েছে। কারণ এই বয়সের শিশুরা এই গণ্ডির মধ্যেই থাকে। বন্ধু-বান্ধব হয় এখান থেকেই বেশি। তিনি বলছিলেন, "নিয়মিত ক্লাসের বাইরে একটা ক্লাস নেয়া যেতে পারে সেখানে ফেক নিউজ বা ভুল তথ্য তাদের কীভাবে বিপথগামী করতে পারে এবং ভালো তথ্য তাদের কতটা অগ্রগামী করবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা উচিত"। "সময়টাই যেহেতু ইন্টারনেট বা অনলাইনের সেজন্য এই বিষয়ে শিক্ষাক্ষেত্রেও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ঢাকায় জুয়ার আদ্যোপান্ত: ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো ভ্যাজাইনিসমাস: যে ব্যাধি যৌনমিলনে শুধুই যন্ত্রণা দেয় সরকারি প্রকল্পের পক্ষে লিখলে সাংবাদিকদের 'পুরস্কার'
তথাকথিত 'ডিপ ফেইক' প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে সহজেই অডিও ও ভিডিও কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্য নকল তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কৌশল ব্যবহার করে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ক্রীড়ায় থাকতে হলে প্রাসঙ্গিক ফিটনেস প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। মূলত প্রধান স্কোয়াড নির্বাচেনের আগে প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে এই ফিটনেস পরীক্ষা হয়, যেখানে নিজেদের ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত স্কোয়াড সাজানো সহজ হয়। বোঝা যায় খেলার জন্য কে কতটা ফিট। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি। এরপর জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ বুধবার এই সিরিজকে সামনে রেখে বিপ টেস্ট নেয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্থানীয় ট্রেনার ইফতেখারুল ইসলাম বিবিসি বাংলার রায়হান মাসুদকে বলেন খেলোয়াড়দের ফিটনেস বা শারীরিক যোগ্যতা সাধারণ মানুষের ফিটনেস থেকে কিছুটা আলাদা। ''ফিটনেস মূলত দু ধরণের- একটা সাধারণ মানুষের এবং অন্যটা খেলাধুলা বিষয়ক ফিটনেস। খেলাধুলায় থাকতে হলে প্রাসঙ্গিক ফিটনেস প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে,'' বলেন তিনি। ''মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করাই বিপ টেস্টের কাজ।'' তিনি বলেন এই বিপ টেস্ট বা ফিটনেস পরীক্ষা বলে দেয় কোন্ ক্রিকেটার খেলার মাঠের জন্য কতটা উপযুক্ত। এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় ভিওটুম্যাক্স নামে একটি পদ্ধতি। ''এই প্রক্রিয়ায় জানা যায় কি পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারে, যা ক্রিকেটারদের প্রাণশক্তির নির্ণায়ক হতে পারে,'' বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্থানীয় ট্রেনার। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: শ্রীলংকার ক্রিকেট দল আবারো পাকিস্তানে খেলবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের হাল ধরছেন হাতুরুসিংহা? খেলোয়াড়দের জন্যও বিপ টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারাও এতে তাদের ফিটনেসের মান বুঝতে পারেন (ফাইল চিত্র) জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ''এই পরীক্ষা করলে আমরা নিজেরাই ভাল ফিল করি, এতে আমরা নিজেদের সম্পর্কে জানতে পারি কে কতটুকু ফিট আছি।'' বিপ টেস্টে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দমের রিডিং ছিল ১৩.৬, যেটা তুলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইফতেখারুল ইসলাম জানান, ''ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে মূলত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা বিপ টেস্টের ফল ছিল সবচেয়ে ভালো। এরপর থেকে তাদের গড় রিডিং ১১.৫ এই থাকছে, যেটা দমের জন্য ভাল রিডিং বলেই ধরা হয়।'' তিনি বলছেন মূলত ক্যাম্পের প্রথম দিন বিপ টেস্টের মান কমই থাকে, কারণ খেলোয়াড়রা ছুটি কাটিয়ে এসে প্র্যাকটিস সেশনে যোগ দেন, কাজেই গোড়ার দিকে তাদের ফিটনেসের মান কিছুটা কমই থাকে। "তবে যত দিন গড়ায় ততই ফিটনেসের মান বাড়ে ক্রিকেটারদের।'' মি: ইসলাম বলছেন যাদের ফিটনেস কম থাকে, তাদের অনুশীলনের মাধ্যমে ফিটনেস বাড়ানো হয়। আর সে কারণেই এই বিপ টেস্ট খুবই জরুরি। বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ২৭জন ক্রিকেটার বিপ টেস্ট দিয়েছেন । মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস অনুপস্থিত ছিলেন।
কোনো ক্রিকেট সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিবারই দেখা যায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ক্যাম্প হয়, যেখানে ক্রিকেটাররা জিমনেসিয়াম বা মাঠে নিজেদের ফিটনেসের পরীক্ষা দেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী রেডিও উপস্থাপক, বিবিসির এশিয়ান নেটওয়ার্কের উপস্থাপক নাদিয়া আলি। ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি অংশ - যারা প্রধানত অপেক্ষাকৃত বয়স্ক তারা নিয়মিত বাংলাদেশের রাজনীতি ও ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখেন, প্রবাসী টিভি চ্যানেলগুলোতে এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হয়। কিন্তু অপেক্ষাকৃত তরুণরা বাংলাদেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং আসন্ন ভোট নিয়ে কতটা আগ্রহী? ব্রিটিশ-বাংলাদেশী রেডিও উপস্থাপক, বিবিসির এশিয়ান নেটওয়ার্কের উপস্থাপক নাদিয়া আলি বিবিসি বাংলাকে বলেন, সবসময় তাদের মধ্যে একধরনের আগ্রহ থাকে - বাংলাদেশে কী হচ্ছে, নির্বাচনে কে জিতবে সেটা নিয়ে। "সবসময় ইন্টারেস্ট (আগ্রহ) থাকে - বাংলাদেশে কী হচ্ছে, নির্বাচনে কে উইন করছে (জিতছে) সেটা নিয়ে"। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে যতটুকু জানেন সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার বিষয়ে তারা জানেন। আর রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে খুব একটা ইতিবাচক ধারণা তাদের মধ্যে নেই-বলেন নাদিয়া আলি। এই আগ্রহের পেছনে কারণ কী? "আমার ক্ষেত্রে আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। কিন্তু আমার পরিচয়, আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আমি বাংলাদেশী, সেটাই প্রথমে আসে- আমি ব্রিটিশ-বাংলাদেশী.. এজন্য সবসময় রাজনীতিতে একটা আগ্রহ ছিল।" পারিবারিকভাবেও তাদেরকে সবসময় বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে, জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে তারা দেশের খবরাখবর পাচ্ছেন। নাদিয়া আলি বলেন, "আমাদের যে বাংলাদেশী মিডিয়া আছে তার মাধ্যমে আমরা আপডেটেড হতে পারছি এবং অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে জানতে পারছি।" "অবশ্যই আমাদের বাবা-মা আত্মীয় স্বজন যখন এক জায়গায় একত্র হচ্ছে ইলেকশন (নির্বাচন) নিয়ে কথা-বার্তা হচ্ছে।" তরুণ ব্রিটিশ-বাংলাদেশীরা দেশের সম্পর্কে আসলে কতটা জানে? নাদিয়া আলির কথা বোঝা যায়, তারা দেশের রাজনীতি সম্পর্কে যতটুকু জানেন সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার বিষয়ে তারা জানেন। আর রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে খুব একটা ইতিবাচক ধারণা তাদের মধ্যে নেই। "আমরা বেশি জানিনা। আমরা জানি যে, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া নিশ্চিতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই মূলত যা বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের জানা, এবং আমরা জানি যে গণ্ডগোল হয়।" "আমরা বুঝতে পারি যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্ভবত অস্থিতিশীল এবং বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে আমরা সেটা জানতে পারছি," বলছিলেন মিজ আলি। বাংলাদেশের নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তরুণদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে বলে জানান নাদিয়া আলি। ব্রিটিশ-বাংলাদেশীরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? নাদিয়া আলির কথায় উঠে আসে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা। "আমরা দেখতে চাই ন্যায়বিচার, অনুকূল পরিবেশ, সব মিলিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশ কিন্তু অনেক সমৃদ্ধ, সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ... এখানে প্রচুর সম্ভাবনা, কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে"। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটা সরকার দেখতে চাই যারা ভিন্নতা আনবে, পরিবর্তন আনবে।" "আমরা নেতিবাচক কিছু আর দেখতে চাইনা, আমরা ইতিবাচক একটা বার্তা পেতে চাই।" উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের কথা উল্লেখ করেন নাদিয়া আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা এখন বিশ্বের সবাই জানে। সংসদ নির্বাচনের ফলাফল: ১৯৯১-২০১৪ (বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী) আরও পড়ুন: শহিদুল আলমের গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ টিভি তারকা কনি হক 'প্রতিদিন আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি' তরুণদের নিয়ে কি আছে নির্বাচনী ইশতেহারে?
বাংলাদেশে আসন্ন ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিয়ে এখন দেশের ভেতরে যেমন সমস্ত আলাপ-আলোচনা তেমনি আগ্রহ তৈরি হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মধ্যেও।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জঙ্গীদের দমনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে কি বিশ্বাস করা যায়? এ প্রশ্ন অনেকের লাহোর থেকে সাংবাদিক-লেখক আহমেদ রশিদ এক রিপোর্টে লিখছেন, সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ জোগানদাতাদের ওপর নজর রাখে এমন এই বৈশ্বিক নজরদারি প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ফিনান্সিয়াল এ্যাকশন ট্রাস্ক ফোর্স(এফএটিএফ)। এ মাসেই শেষ দিকে তারা এমন একটি বৈঠকে বসবে - যেখানে পাকিস্তানকে 'ধূসর তালিকায়' অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে - যা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে প্রথম ধাপ। পাকিস্তান যদি সন্ত্রাস নির্মূল না করে তাহলে তাকে কালোতালিকাভুক্ত করা হতে পারে, এবং তার পরিণামে আরোপ করা হতে পারে অত্যন্ত কঠোর সব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। এই বৈঠকে পাকিস্তানকে দুটি গোষ্ঠীর জঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রকৃত অভিযান চালানোর সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হবে। তা নাহলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধূসর তালিকায় চলে যাবে। এ দুটি গ্রুপ হচ্ছে লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতৃত্বাধীন গ্রুপগুলো - যারা সীমান্তের ওপারে ভারতের লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। আরেকটি হচ্ছে তালিবান ও হাক্কানি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো - যারা আফগান ও মার্কিন বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। বহু দশক ধরে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো উগ্রপন্থী বিভিন্ন গ্রুপকে নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে - যারা রাষ্ট্রের ভারতবিরোধী এজেন্ডা বা আফগানিস্তানে তাদের তালিবান মিত্রদের সমর্থন দেয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আমেরিকার 'পাকিস্তান সঙ্কট' মিটবে না বাড়বে? কেন পাকিস্তান আমেরিকাকে গোয়েন্দা তথ্য দেবেনা পাকিস্তান কি এখন নিরাপদ? ‘আফগান তালিবানরা পাকিস্তান থেকে কাজ করছে’ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সীমান্তের উপজাতীয় এলাকাগুলো জঙ্গীমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েংছে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো দেশগুলো বহুবার প্রভাব খাটিয়ে বা হুমকির মাধ্যমে চেষ্টা করেছে - যেন ইসলামাবাদ এ গ্রুপগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পাকিস্তান বরাবরই এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে এবং সেই চাপকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তান সরকার এবং সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেবার অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানি উগ্রপন্থী গ্রুপের আক্রমণে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরাই বরং ব্যাপক প্রাণহানির শিকার হয়েছে - এবং এসব গ্রুপ আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে আক্রমণ চালাচ্ছে। এর মধ্যে আছে ইসলামিক স্টেট, পাকিস্তানি তালেবান এবং অন্যান্য কিছু গোষ্ঠী। গত এপ্রিল মাসে প্যারিসে ৭০টিরও বেশি দেশের এক বৈঠকে সন্ত্রাসে অর্থদান ঠেকানোর ওপর এক বৈঠক হয় - যাতে অনানুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর প্রতি সহিষ্ণুতা দেখানো বন্ধ করতে পাকিস্তানকে জুন মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এতে চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কও সমর্থন দেয় - যা পাকিস্তানকে বিস্মিত করে। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী বহুবার অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান থেকে চালানো আক্রমণেরর ব্যাপারে মে মাসে পাকিস্তান চরমপন্থীদের মোকাবিলার জন্য এফএটিএফএর কাছে কিছু নতুন প্রস্তাব দেয় এতে কি আছে তা গোপন রাখা হয়, কিন্তু পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলেছেন তা হয়তো এফএটিএফকে সন্তুষ্ট করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো বাহিনী পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে তালিবানের রসদপত্র সরবরাহের পথ এবং এর নেতাদের আশ্রয়প্রশ্রয় পাবার বিষয়টির কড়া সমালোচক। কিন্তু পাকিস্তান এ অভিযোগগুলো অস্বীকার করে থাকে। পাকিস্তান লশকর-ই-তৈয়বাকে একটি বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে দেবার প্রস্তাবও করেছে - যা আন্তর্জ্যাতিক সম্প্রদায় এবং বহু পাকিস্তানীর কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে না। লস্করের নেতা হাফিজ সাঈদকে ধরিয়ে দেবার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে। কিন্তু তিনি পাকিস্তানে অবাধে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এফএটিএফ আরো একটি বিষয় দেখছে - যা হলো পাকিস্তান কিছুকাল আগে ২২টি আন্তর্জাতিক এনজিওকে নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেশ ছাড়তে বলে। চাপের মুখে পাকিস্তান এখন এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে সাতটি মসজিদ আফগান নারীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? বিশ্বকাপ ২০১৮: রাশিয়ার যে যে ভেন্যুতে খেলা হবে
সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পাকিস্তানকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে, আর না হলে আন্তর্জাতিক কালো তালিকায় তার নাম উঠবে - দেশটির ওপর এরকমই চাপ দিচ্ছে একটি বৈশ্বিক নজরদারি সংস্থা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণীতে, শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির আলোকে। সেইসঙ্গে এসএসসিতে শুধুমাত্র পাঁচটি বিষয়ের ওপর খাতা-কলমে পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ দশম শ্রেণিতে ১০টি বিষয় পড়ানো হলেও এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫টি বিষয়ের ওপর। সেগুলো হলো: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান। অন্যদিকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা, জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ভালো থাকা, এবং শিল্প ও সংস্কৃতি এই পাঁচটি বিষয়ে খাতা কলমে কোন পরীক্ষা নেয়া হবে না। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা বাদ দেয়াকে বাংলাদেশকে ধর্মহীন করার চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে ওই ইসলামি সংগঠনগুলো। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে গণ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি করেছে তারা। এসএসসিতে শুধুমাত্র পাঁচটি বিষয়ের ওপর খাতা-কলমে পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। যিনি চরমোনাই পীর নামে পরিচিত, তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শতকরা ৯০ থেকে ৯২ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ে। বাকি ৮ থেকে ১০ ভাগ শিক্ষার্থী পড়ে মাদ্রাসায়। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক না করে নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর পায়তারা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি। একই দাবি তুলেছে খেলাফত মজলিশ আরও কয়েকটি ইসলামি সংগঠন। সরকার ধর্মীয় শিক্ষাকে পরীক্ষা সূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করলে কঠিন আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে চরমোনাই পীরের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম কবির বলেন, "কোন বিষয়ে আপনারা কতোটুকু শিখলাম সেটা তো মূল্যায়ন করা হয় পরীক্ষার মাধ্যমে। যদি পরীক্ষা না থাকে তাহলে তো শিক্ষার্থীরা ওই সাবজেক্টটা পড়বে না। তাছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাস ফেলের টার্গেট থাকে। যখন তাদেরও কোন জবাবদিহিতা নাই, তখন তারাও ধর্ম বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে যাবে। এটা তো মুসলিম দেশে কোনভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না।" তবে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাসহ প্রতিটি বিষয়ে সামগ্রিক জ্ঞান দিতে সেইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা ৩২ কার্যদিবস থেকে কমিয়ে ৫ কার্যদিবসে নেয়ার লক্ষ্যে এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর দক্ষতা যাচাই করতে কাগজে কলমে পরীক্ষা নেয়া জরুরি। শুধুমাত্র সেই পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক প্রাথমিকেও আসছে পরিবর্তন। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীর আচার আচরণ, মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব এমন পাঁচটি বিষয় মূল্যায়ন হবে ধারাবাহিক পদ্ধতিতে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষকরা বাকি পাঁচটি বিষয় মূল্যায়ন করবেন। তাই কাগজে কলমে পরীক্ষা না হলেও কোন বিষয়কে কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন,"পরীক্ষা না হলেই যে শিখবে না, এমনটা ঠিক না। ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা তো অনুশীলন ও অনুধাবনের বিষয়। মুখস্থ করে পরীক্ষায় কেউ লিখল কিন্তু হৃদয়ে ধারণ করলো না। তাহলে তো হবে না। এখন শিক্ষার্থীদের এই চর্চার বিষয়টি যেন সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয়, আমরা সেটাতেই গুরুত্ব দিচ্ছি।" বাংলাদেশের চাহিদা নিরূপণ, পরিস্থিতি পর্যালোচনা, দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর গবেষণা করে নতুন এই নীতি সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানায় এনসিটিবি। আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? নিরাপদে স্কুল খুলতে যেসব নির্দেশনা মানার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কী ভাবছে কর্তৃপক্ষ? পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ দিয়ে দেবে সরকার নবম থেকে এসএসসি পর্যন্ত পাঁচজনের একজন ঝরে পড়ছে নতুন এই শিক্ষাক্রম প্রণীত হলে বাংলাদেশের প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পাল্টে যাবে। এখানে মূলত সময় ও বিষয় কমিয়ে বই ও সিলেবাসে পরিবর্তন করা হয়েছে। দশম শ্রেণির আগে পিএসসি বা জেএসসির মতো কোন পাবলিক পরীক্ষা থাকছে না। আগে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে পড়া নির্ধারিত হতো নবম শ্রেণীতে। এখন সেটি হবে উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে। এর কারণ হিসেবে মি. সাহা বলেন, "আগে অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় একজন শিক্ষার্থীকে বিভাগ বেছে নিতে হতো। ওই সময় একজন শিক্ষার্থীর বয়স থেকে ১৩ থেকে ১৪ বছর। এই বয়সে সে কী হতে চায়, কোন বিষয়ে পড়তে চায় এটা তার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তারা নবম ও দশম শ্রেণিতে সব বিষয়ের ওপরেই পড়বে। সবকিছু পড়ার পর উচ্চমাধ্যমিকে উঠে তারা সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কোন বিষয়ে পড়তে চায়। সব বিষয় জানা থাকলে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।" এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপঞ্জী ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও দুই এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে বুধবার এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে তিন মাস ক্লাস নিয়ে ওই দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশে ২০২২ সালের জন্য সুপারিশকৃত নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয়ে পরীক্ষা বাদ দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মশা-বাহিত রোগবালাইয়ের পরিমাণ ও মানুষের ভোগান্তি। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য নানা ধরণের রিপেলেন্ট অর্থাৎ মশা বিতাড়নের জন্য পণ্যের ব্যবহারও বাড়ছে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরণের কয়েল, স্প্রে, ক্রিম জাতীয় পণ্য। বাজারে এখন এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। চাহিদার সাথে সাথে পণ্যের কার্যকারিতা নিয়েও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় প্রতিযোগিতা। আরো পড়তে পারেন: ঢাকায় কিউলেক্স মশা বেড়েছে চারগুণ, পদক্ষেপ না নিলে মার্চে ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে 'কীটনাশকে শুধু কিউলেক্স মশা মরে, এডিস নয়' ডেঙ্গু: এবছর যে কারণে বেড়েছে এডিস মশা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি বাংলাদেশে মশার ওষুধ বাজারজাত করার আগে প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। সংস্থাটি বলছে, দেশে এই মূহুর্তে ৪৫০টির বেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরণের মশার ওষুধ পাওয়া যায়। প্রায় ৮০টির মত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো তৈরি এবং আমদানি করে বাজারজাত হচ্ছে। কিন্তু এত পণ্যের ভিড়ে কিভাবে বুঝবেন, কোন পণ্যটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেছেন, "যদি দেখা যায় মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার হওয়া কোন কয়েল বা স্প্রে বা ক্রিম বা বিশেষ ব্যাট বা মশারি ব্যবহারে ঘরের মশা মরে যায়, সাথে ঘরের অন্যান্য পতঙ্গ যেমন টিকটিকি বা অন্য ছোট পোকা মারা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি মানব শরীরের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকর।" রিপেলেন্টের কাজ হচ্ছে মশা তাড়ানো, কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায় অনেক সময় পণ্যের বিজ্ঞাপনে বলা হয় মশা কার্যকরভাবে মেরে ফেলবে। এর মানে হচ্ছে ওই পণ্যে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, আর সেটি মানবশরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তিনি বলেন, "এ ধরনের ওষুধে যেমন মানবদেহের ক্ষতি হয়, তেমনি মশার ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণীকুলও বিপন্ন হয়।" যেকোন কীটনাশকের মধ্যে ব্যবহারভেদে দুই মাত্রার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। পূর্ণ বয়স্ক মশা মারতে ফগিংয়ের পরামর্শ দেয়া হয় এর একটি হচ্ছে অ্যাগ্রিকালচারাল গ্রেড, মানে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত মাত্রা। অন্যটি হচ্ছে পাবলিক হেলথ গ্রেড, অর্থাৎ এটি মানব শরীরের সংস্পর্শে আসার জন্য নির্ধারিত মাত্রা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাবলিক হেলথ গ্রেডে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিকের মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে যাতে কম প্রভাব পড়ে বা সহনশীল মাত্রার মধ্যে থাকে। কয়েল, স্প্রে বা অন্য যেকোন ওষুধের উপাদানের মধ্যে ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে পার্থক্য থাকে, একেক কোম্পানি কীটনাশকের একেক ধরণের জেনেরিক ব্যবহার করে। ফলে একটির সঙ্গে আরেকটির ফলাফলে পার্থক্য থাকে। দেখা যায়, একেক ধরনের মশার জন্য একেক ধরনের ওষুধ রয়েছে, যেমন পূর্ণবয়স্ক মশা তাড়াতে যে ওষুধ লাগবে, লার্ভা নিধনে সেই একই ওষুধ কাজ করবে না। বাংলাদেশে সাধারণত মশার কয়েল ও স্প্রেতে পারমেথ্রিন, বায়ো-অ্যালোথ্রিন, টেট্রাথ্রিন, ডেল্ট্রামেথ্রিন, ইমিপোথ্রিননের মত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তার মাত্রা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। যেমন মশা তাড়ানোর স্প্রে ঘরে ছিটানোর পর সে ঘরে পরবর্তী ২০ মিনিট মানুষকে থাকতে নিষেধ করা হয়। কারণ ওই স্প্রেতে ছড়ানো কীটনাশকের ড্রপলেটস মাটিতে নেমে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগবে, ফলে তখন সেখানে মানুষ থাকলে তিনি সরাসরি কীটনাশকের সংস্পর্শে আসবেন, যা তার জন্য ক্ষতিকর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেছেন, নিরাপদ থাকার জন্য মশা মারার ব্যবহার বিধিও জানতে হবে এবং মানতে হবে। মাত্রা পরিমাপে সরকারের মনিটরিং বাংলাদেশে মশার ওষুধ বাজারজাত করতে হলে প্রতিটি পণ্যের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাইয়িদ মিয়া বিবিসিকে বলেছেন, এজন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কোন কোম্পানিকে। এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের কারণ এরপর স্যাম্পল টেস্ট করতে হয়, মানে আইইডিসিআরের কাছে ওই পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। তাতে পাশ করলে সর্বশেষ সেটি মাঠ পর্যায়ে দুইবার ট্রায়াল চালানো হয়, তাতে জনস্বাস্থ্যের ওপর কোন ক্ষতিকর কিছু না পেলে, সেটিকে অনুমোদন দেয়া হয়। এই সব কয়টি ধাপ পার হলে ওই পণ্যটিকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়ম মেনে মশার ওষুধ বানায় না। এর ফলে কয়েল বা স্প্রে বা অন্য কোন রিপেলেন্ট পণ্যে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক থাকে। সে কারণে কয়েল বা স্প্রের ফলে মানুষের শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন, মশার কয়েল মশার স্প্রের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কারণ মশার কয়েল সারারাত ধরে জ্বলে এবং কয়েল জ্বালিয়ে মানুষ ঘরেই অবস্থান করে। কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসের অসুখ হতে পারে। এছাড়া ক্যান্সার এবং কিডনি রোগেরও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে মানুষের চোখ এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি হয়। গুনগত মান মনিটরিংয়ের জন্য প্রতি উপজেলায় দুইজন করে কীটনাশক পরিদর্শক রয়েছেন, মাঝেমধ্যেই যারা পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম পেলে জরিমানা করেন। মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন মশা তাড়াতে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায় চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। তবে ঢাকায় মশার সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তাতে এসব কায়দা কতটা খাটবে সে আশংকাও রয়েছে। অনেক বছর ধরে মশা তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো: • নিমে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ রয়েছে। প্রাচীনকালে মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করা হত। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে নিলে মশা ধারে-কাছেও ভিড়বে না বলে প্রচলিত। • বলা হয়ে থাকে মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়। • লেবু আর লবঙ্গ একসঙ্গে রেখে দিলে ঘরে মশা থাকে না বলে প্রচলিত আছে। এগুলো জানালায় রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না • ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালালে চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা-মাছি পালিয়ে যাবে। কিন্তু এতে শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ হয়ে গেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
দুপুরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। এই দরপতনে বিক্ষোভ দেখা দেয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। দুপুরে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। এর আগে সপ্তাহখানেক ধরেই অব্যাহত ছিল দরপতনের এই ধারা। অবশ্য বিশ্লেষক ও কোন কোন বিনিয়োগকারীর চোখে এই দরপতন আকস্মিক নয়। ২০১০ সালের পর থেকেই খুব ধীরে এই দরপতন হচ্ছিল যেটাকে তারা বলছেন 'স্লো পয়জনিং'। একজন নিয়মিত শেয়ার ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান বলছেন, তিনি কয়েকমাস আগে তিনি তার শেয়ারগুলো বিক্রি করে ফেলেছেন, তখনই লোকসান হয়েছিলো ১৭ লাখ টাকা। কিন্তু এখন বিক্রি করলে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লোকসান হতো তার। "আমার কাছে মনে হচ্ছে শেয়ার বাজারের ট্রেন্ডটা ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে", বলছিলেন মি. রহমান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে এই দরপতন হচ্ছে। গতকাল সূচক নেমে ৪১২৩ পয়েন্টে কমে আসে। আজ আরো কমবার পর পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪০৩৬। ২০১৫ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক সর্বশেষ এত নিচে নেমেছিল। তখন সূচক ছিো ৪ হাজার ১২২ পয়েন্ট। ঢাকার একটা ব্রোকারেজ হাউজের দৃশ্য আশার আলো নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং পূঁজি-বাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক শাহাদত হোসেন সিদ্দিক বলছিলেন, সূচক কমার পিছনে দুইটি কারণ কাজ করছে। "প্রথমত এখন বেসরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে না। আর দ্বিতীয় কারণ হল, এই মার্কেটের উপর মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনার কোন চেষ্টা করা হচ্ছে না"। পূঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলছেন, "আজ পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে আশার কোন আলো দেখা যাচ্ছে না"। তিনি বলছিলেন, "এই অবস্থা হওয়ার আগেই পলিসি সাপোর্ট দেয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশে পলিসি মেকিং-এর সার্কেলে অমনযোগিতার বিষয় আছে। বিদেশি বিনিয়োগ আনা বা রাখার ব্যাপারে তাদের সিরিয়াসনেস নেই"। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে পূঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ বাজারে না থাকাটাকে আরেকটা কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিনিয়োগকারীরা। ২০১১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর সামনে এসইসি পুনর্গঠনের দাবি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে দুপুরের মানববন্ধনটি করে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠন। এর সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) পুনর্গঠনের দাবি জানান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ দাম কমার শীর্ষে ছিলো এসএস স্টিল লিমিটেড, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, গোল্ডেন হার্ভেস্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। গত সপ্তাহেও কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে মুখে কালো কাপড় বেধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন হলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এসইসি'র কমিটি গঠন এবারের দরপতনের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করতে চায়নি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি'র সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে সরকার। সেই কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক, এসইসি'র একজন নির্বাহী পরিচালক এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন বলে এই কর্মকর্তা জানান। আরো খবর: আজীবন বহিষ্কার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ ছাত্র ৩০শে জানুয়ারিতেই হচ্ছে ঢাকার সিটি নির্বাচন সিরিয়ার কুর্দি নেতা হেভরিন খালাফের হত্যা নিয়ে রহস্য নীল নদের মালিক কে? কেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ? কুয়াশা ঢেকে ফেলেছিল ঢাকাকে, বিমান ওঠানামা বন্ধ সাগরে প্রাণ রক্ষা করে জেলে গিয়েছিলেন যে ক্যাপ্টেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজও (মঙ্গলবার) বড় আকারের দরপতন অব্যাহত ছিলো। সোমবার সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমার পর আজ দ্বিতীয় দিনের মতো সূচক কমেছে ৮৭.২৪ পয়েন্ট।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে রপ্তানী আয়, বৈদেশিক ঋণ ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানী আয় বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের ক্ষেত্রে, বিশেষ তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা কমে যাওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়বে পোশাক শিল্পের ওপর। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাজার হওয়ায় ঐ অঞ্চলের সাথে বাণিজ্যের শর্তাবলী পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে সুবিধা কমে যাওয়াটাই হবে বাংলাদেশের সামনে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ । "উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গ্রার্মেন্টস ছাড়াও আরো অনেক রপ্তানী পণ্য তৈরি করতে হবে । শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে"। রপ্তানী আয় কমে যাওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়তে পারে পোশাক শিল্পে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে রপ্তানিতে শুল্ক সংযোজনের পাশাপাশি দেশের শিল্প কারখানায় শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকারের মত বিষয়গুলোতে আরো স্বচ্ছতা দাবী করবে আমাদানিকারকরা। সেক্ষেত্রে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মনে করেন এসব প্রতিবন্ধকতা সহজেই পার করতে পারবে বাংলাদেশ। "ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুষ্ঠ ও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানিখাতের নিশ্চয়তা পেলে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারবে"। বৈদেশিক ঋণ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আগের মত সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য পাবে না বাংলাদেশ। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশ আগের মত রেয়াতি সুদে ঋণ পাবে না। বাংলাদেশকে ক্রমান্বয়ে একটি মিশ্র অর্থায়নে যেতে হবে যেখানে উচ্চ সুদে বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে।" তবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি উন্নয়নের ফলে বৈদেশিক ঋণ পাওয়া সুবিধাজনক হতে পারে। ড. ভট্টাচার্য বলেন, "স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ মসৃণ ও টেকসই করতে দেশের অভ্যন্তরীন সুশাসন ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" আরও পড়ুন: দেশটি ছোট্ট, কিন্তু তুলা আমদানিতে এক নম্বর বাংলাদেশ গার্মেন্টস খাতে সব মনোযোগ, অন্য শিল্প উপেক্ষিত প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরো উৎসাহী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "যেসব দেশ এখন পর্যন্ত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধির হার, বৈদেশিক সাহায্য ও বৈদেশিক আয় কমেছে।" "তবে প্রায় প্রত্যেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে।" একটি দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ তৈরী হয়। তবে অনেকসময় দীর্ঘমেয়াদে দেশীয় সঞ্চয়ের চেয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ আয় বেড়ে যাওয়ায় চলতি হিসাবে ঘাটতি (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট) সৃষ্টি হয়। যার ফলে বৈদেশিক আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ড. ভট্টাচার্য বলেন, প্রত্যক্ষ্য বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভাবনা কতটা আছে তা যাচাই করা হয়। এক্ষেত্রে শুধু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতিই যথেষ্ট হবে না। একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, পরিবেশ ও প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালার বাস্তবায়ন,আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে অংশগ্রহণের মাত্রা ও দীর্ঘমেয়াদে সুশাসন টিকে থাকার সম্ভাবনার ওপর প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নির্ভর করে। "বৈরী বৈশ্বিক পরিস্থিতি, উন্নত দেশগুলোর সংরক্ষণবাদী মনোভাব ও ভৌগলিক-কৌশলগত সমস্যা বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ", বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য । মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈথিক ভঙ্গুরতা- এই তিনটি সূচকে বিচার করা হয় একটি দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল ধাপে উত্তরণ করবে কি না। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে হলে অন্তত দু'টি সূচক পূরণ করতে হয় একটি দেশকে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে তিনটি সূচকের সবকটি পূরণ করে পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালে একদফা পর্যবেক্ষণের পর ২০২৪ এ জাতিসংঘের সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ।
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরী হবে তেমনি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন শতাধিকের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনে দুটো হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। তার একটি হুশেনশান হাসপাতাল - যার আয়তন ২৫,০০০ বর্গমিটার। তারা আশা করছেন, এই সোমবারেই হাসপাতালটি চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর গত ২৪শে জানুয়ারি এই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীন ও চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,০০০-এর বেশি। চীনের বাইরে আরো ২২টি দেশে প্রায় ১০০ জনের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সার্স মহামারীকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৩ সালে ২৪টিরও বেশি দেশে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৮,১০০। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয় উহান শহরে। সেখানে এক কোটি দশ লাখ মানুষের বাস। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, হুশেনশান হাসপাতালে ১,০০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। এই হাসপাতালটি কতো দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে সেটা যাতে লোকেরা দেখতে পায় - সেজন্য এর নির্মাণকাজ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। টেলিভিশনে হাসপাতাল নির্মাণের এই দৃশ্য দেখছে বহু মানুষ। গ্লোবাল টাইমস নামের পত্রিকা বলছে, চীনে প্রায় চার কোটি মানুষ হাসপাতাল নির্মাণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছে। এই সম্প্রচার এতোই জনপ্রিয় হয়েছে যে সখানে ক্রেইন, বুলডোজার ও ডিগারের মতো যেসব যন্ত্র দিয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলোও মানুষের কাছে খ্যাতি পেয়ে গেছে। চীনের লোকজনেরা সিমেন্ট মেশানোর একেকটি মেশিনের নাম দিয়েছে - দ্য সিমেন্ট কিং, বিগ হোয়াইট র‍্যাবিট এবং দ্যা হোয়াইট রোলার। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস মোকাবেলায় রাজধানী বেইজিং-এ যে শিয়াওতাংশান হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল - তার অনুকরণেই হুশেনশান হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে উহানে। শিয়াওতাংশান হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল মাত্র সাতদিনে। বলা হয় যে দ্রুত গতিতে হাসপাতাল তৈরির বেলায় এটা ছিল বিশ্ব রেকর্ড। একজন কর্মকর্তা ইয়াংঝং হুয়াং বলছেন, চীনে এই হাসপাতালটির মতো প্রকল্প খুব দ্রুত বাস্তবায়নের ইতিহাস আছে। বেইজিং-এর হাসপাতালাটির মতো উহানের এই হুশেনশান হাসপাতালটিও আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসাথে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। মি. হুয়াং বলেছেন, নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ করার জন্য সারা দেশ থেকে প্রকোশলীদের উহানে নিয়ে আসা হয়েছে। "প্রকৌশল কাজে চীন খুবই দক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে এটা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু এটা করা সম্ভব," - বলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: চার বছর পর বিএনপির হরতাল, সড়কে সীমিত যানবাহন উহানফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে যেমন কাটছে চীনা নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যে চীনের উহান শহরে খুব দ্রুত একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মাত্র ১০ দিনে তৈরি এই হাসপাতালটি হয়তো সোমবারই খুলে দেয়া হবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ছেলে আবদুল কাদের মাসুমের প্রতীক্ষায় মা আয়েশা আলী। তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। তখন বয়স ছিল ২৪ বছর। ওইদিন রাতে ছেলে বাড়িতে না ফিরলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বসুন্ধরা এলাকা থেকে তার ছেলের সাথে আরও তিন জনকে র‍্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন দুটো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে। তারপর সাত বছর ধরে কারও কোন খোঁজ মেলেনি। একমাত্র ছেলের সন্ধানে এই মা আইনের দরজায় কড়া নাড়লেও সাড়া পাননি কোথাও। বিবিসি বাংলার কাছে আক্ষেপের স্বরে তিনি বলেন, "আমরা র‍্যাব অফিস, ডিবি পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবখানে গিয়েছি। থানায় জিডি করেছি। এখনও খোঁজ খবর করে যাচ্ছি, কিন্তু তারা কিছুই করে না। খালি বলে হচ্ছে, হবে। আমার ছেলে কোন অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের মাধ্যমে বিচার করেন। এভাবে তাকে গুম করতে তো পারেন না।" একইদিন ঢাকার শাহীনবাগ এলাকা থেকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৭ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মিনু আক্তারের স্বামী মোহাম্মাদ কাওসার হোসেন। তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বরিশালে নিজ গ্রামের বাড়িতে থাকায় স্বামীকে কে বা কারা কোথায় নিয়ে গিয়েছিল কিছুই জানতে পারেননি তিনি। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান র‍্যাবের পোশাকে কয়েকজন তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে। স্ত্রী মিনু আক্তার পরে ঢাকায় এসে স্বামীর সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তাকে আশাহত হয়েই ফিরে আসতে হয়েছে বার বার। মিসেস আক্তার বলেন, "আমার মেয়ের বয়স এখন ১০ বছর। ও এখনও আশা করে ওর আব্বু আসবে। জানতে চায় আব্বু কোথায়। আমি কি বলব? আমি তো জানিনা, আসবে নাকি আসবে না। খোঁজ নিতে অসংখ্যবার র‍্যাব অফিসে গিয়েছি। তারা স্বীকারই করে না। বলে যে ওই দিন তাদের কোন টিম ওখানে ছিল না। পুলিশের কাছে গিয়েছি জিডি করতে। জিডিও করতে রাজী হয়নি।" সাত বছর ধরে স্বামী খোঁজ করে যাচ্ছেন মিনু আক্তার। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে ৬০৪ জন গুম হয়েছেন। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়, ৮৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং ফেরত আসেন ৫৭ জন। বাকি ৩৮০ জনের খোঁজ আজ পর্যন্ত মেলেনি। অন্যদিকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ৫৫৯ জন গুমের শিকার হয়েছেন। এই নিখোঁজদের স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গুম হওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিদের সাদা পোশাকে আসা র‍্যাব, ডিবি পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের পরিচয়ে এসে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ নিয়ে মামলা হলেও নিখোঁজদের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকে উদাসীন ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী নিনা গোস্বামী। একে ন্যায় বিচারের চরম লঙ্ঘন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "গুম হওয়া প্রত্যেকের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এবং তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে সবাইকে খুঁজে বের করার। এখন হয় তারা সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেনি। না হলে তারা সব তথ্য জানে, কিন্তু বলতে চায় না। কেউ অপরাধী হলে তার বিচার করুক। গুম তো করতে পারে না।" আরও পড়তে পারেন: গুমের শিকার 'বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা' নিখোঁজ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের সবই থাকে অজানা র‍্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের দাবি নাকচ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গুমের ঘটনা বরাবর অস্বীকার করা হলেও দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি বারবার উদ্বেগ জানিয়েছে। গুমের শিকার হওয়া এই ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মী যেমন আছেন তেমনি আছেন সাধারণ মানুষ। আবার যাদের খোঁজ পাওয়া গেছে তাদেরকে কারা এবং কেন ধরে নিয়ে গেছেন, তারা এতদিন কোথায় ছিলেন সেই রহস্য ভেদ হয়নি। যেসব বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এসেছে তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মেলেনি। তবে গুম হওয়া বিষয়ে যেসব অভিযোগ ও পরিসংখ্যান আসছে সেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক। "যে সমস্ত তথ্য আছে সব যে পুরোপুরি সত্য তা নয়। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এটার জন্যও তদন্ত হওয়া দরকার, কারণ খুঁজে বের করা যাচ্ছে না, এটার সম্পূর্ণ সত্য নয়। যদি এ ধরণের ঘটনার কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। আসলে সত্য মিথ্যা সব বিষয়ই গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করা হচ্ছে।" এর আগে আইন ও সালিশ কেন্দ্র নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা, প্রতিটি গুমের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন, দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া এবং গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। গুম প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করতেও সরকারের প্রতি দাবি জানায় সংস্থাটি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরের ৪ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার দিকে টিউশনির কথা বলে ঢাকার নাখালপাড়ার বাসা থেকে বের হন আয়েশা আলীর তার ছেলে আবদুল কাদের মাসুম।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইসলামপন্থী দলগুলো ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে এছাড়া সংকট নিরসনে সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে 'যোগাোযোগ হচ্ছে' এবং 'দ্রুতই বৈঠকের ব্যবস্থা হবে' বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। ঢাকায় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করে সংগঠনটি। লিখিত বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম দাবি করেন, কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে দলটির কারো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি অভিযোগ করেছেন, "ভাস্কর্য ভাঙার দায় হেফাজতে ইসলামের ওপর 'চাপিয়ে' আমাদের 'ঘায়েল করার' চেষ্টা হচ্ছে।" বাংলাদেশে ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারকে ইসলামের আকিদা, ঈমান ও শিক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে 'পৌত্তলিকতা প্রসারের রাষ্ট্রীয় গোমরাহির পথ পরিহার করার' আহ্বান জানান নুরুল ইসলাম। কুষ্টিয়ায় গত শনিবার রাতে শেখ মুজিবের নির্মাণাধীন এই ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করা হয় তিনি বলেছেন, "ইতোমধ্যে শীর্ষ ওলামায়ে-কেরামের পক্ষ থেকে যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টি 'ইসলাম-সম্মত নয়' বলে সর্বসম্মত ফতোয়া প্রদান করা হয়েছে, যা একটি পত্র দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা আশা করবে সে আলোকে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।" ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো অভিযোগ করেন, দেশের ইসলাম বিদ্বেষীরা লাগামহীনভাবে শীর্ষ ওলামাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করছে এবং ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, "সেক্যুলার শব্দের আড়ালে আশ্রয় নেয়া ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ 'এই কুচক্রী'দের রুখে দিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।" হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাকে ' মিথ্যা' দাবি করে সংগঠটির পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। 'সরকারের সঙ্গে দ্রুতই বৈঠক হবে' সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ জানান, সংকট নিরসনে সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। আরো পড়তে পারেন: মুজিব ভাস্কর্য: সরকার এবং ইসলামপন্থীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলছে মুজিব ভাস্কর্য: বাবুনগরী ও মামুনুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে অনড় ইসলামী দলগুলো, কী করছে সরকার মুজিব ভাস্কর্য: চীনে তৈরি ভাস্কর্যটি স্থাপনার কাজ শেষ পর্যায়ে হেফাজতের নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম বলেছেন, "আমাদের আলোচনার কোন সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আশা করি দ্রুতই বৈঠকের ব্যবস্থা হবে।" বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলো ঢাকার ধোলাইপাড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে ইসলামপন্থী দলগুলোর কট্টর অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর টানাপোড়েন শুরু হয়। গত শনিবার যেকোন উদ্দেশ্যে ভাস্কর্য তৈরি 'ইসলামে নিষিদ্ধ' বলে আলেমদের একটি অংশ বিবৃতি দেন। এরপর ৫ই ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৭ই ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামীর নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশের একটি তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশে ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারকে ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী চলা এবং সরকারের প্রতি 'দেশের ইসলাম বিদ্বেষীদের' নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরে বাংলাদেশের বেশ কিছু ইস্যু ছিল। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত। নজরদারির জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে রেডার বসাবে দেশটি। অভিন্ন ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস রপ্তানিরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বছর তিনেক হল বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শুল্কমুক্ত ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে ভারতের পণ্যবাহী যানবাহন। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে। কিন্তু ভারতের কাছে বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা ছিল ছিল তা পূরণ হয়নি, বলছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির। তিনি বলছেন, "আমাদের প্রত্যাশিত যে বিষয়গুলো আমরা মনে করেছিলাম, সবগুলোই বেশ জটিল। বিষয়গুলো নিয়ে হয়ত আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যে জয়েন্ট স্টেটমেন্ট এসেছে সেখানে এর খুব একটা প্রতিফলন আমরা দেখিনি।" তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। তিনি আরও বলছেন, "ভারতকে যখন আমরা মানবিক কারণে ফেনি নদীর পানি ব্যবহারের সুযোগ দেই, আমরাও একই ধরনের মানবিকতা ভারতের কাছ থেকেও আশা করি। অন্তত আমাদের যে বিষয়গুলি ঝুলে আছে সেগুলোর ব্যাপারেও আরও বেশি সক্রিয় হবে সেরকম প্রত্যাশাতো আমাদের থাকে।" ভারত এবার যে সুবিধাগুলো নিশ্চিত করলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত চিত্র। ভারতের কাছে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের চাওয়া তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের যে জোরালো সমর্থন বাংলাদেশ চায় সেটি মেলেনি। এমনকি 'রোহিঙ্গা' শব্দটিই ব্যবহার করা যায়নি। বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা 'আশ্রয়চ্যুত' মানুষজন। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতিতে কোথাও বাংলাদেশের জন্য সাম্প্রতিক উদ্বেগের বিষয়, ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখ থেকে কোন আশ্বাস আসেনি, যেমনটা বাংলাদেশে চেয়েছিল। এমনকি দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে এনআরসি শব্দটিই একবারও উল্লেখ হয়নি। রাজনীতির অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে সবসময় শুধু দিয়েই গেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলছেন, "বাংলাদেশের কূটনীতি সবসময় ভারতের কাছে নতজানু ছিল। ধরেন, বাণিজ্য ঘাটতি থেকে শুরু করে, তাদেরকে এককভাবে ট্রানজিট দিয়ে দেয়া, ফারাক্কার যে চুক্তি হয়েছে সেটাও কিন্তু সমতার ভিত্তিতে হয়নি। ভারত চাপের মুখে রেখে সব সময় সবকিছু আদায় করে নিয়েছে।" দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে এনআরসি শব্দটিই একবারও উল্লেখ হয়নি। আরো পড়তে পারেন: ফেনী নদী: পানি প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে? আগরতলা-ঢাকা ফ্লাইট চেয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যুবলীগ নেতা সম্রাট অবশেষে গ্রেপ্তার তিনি মনে করছেন, "বাংলাদেশও নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার ক্ষমতাটা বাংলাদেশের নাই। কারণ বাংলাদেশ একটি বিভক্ত জাতি। কোনো জাতীয় ইস্যুতে এখানে ঐক্যমত্য নেই।" তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব এখন তুঙ্গে। কিন্তু তারপরও এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ কী কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হল? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুকসানা কিবরিয়া বলছেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের যে অবস্থান সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিকভাবে তার স্বার্থ সংরক্ষণের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে। ভারতের স্বার্থ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তিনি বলছেন, বাংলাদেশও আরও সূক্ষ্ম কূটনীতির যায়গায় ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তার মতে, "দুই বন্ধুরই তো সুযোগ সুবিধা সমান হতে হবে। এখানে আমরা তার প্রতিফলন দেখিনি। যা আমাদের জন্য খুবই একটা চিন্তার বিষয়। কূটনীতিক দিক দিয়ে আরও সূক্ষ্মভাবে এটা করা যেত। এমনভাবে সমঝোতাগুলো করা হয়েছে তাতে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। এনিয়ে প্রশ্ন উঠবে। জনগণ এখন প্রশ্ন তুলবে আমাদের সরকার আমাদের জন্য কী নিয়ে আসলো।" তিনি বলছেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেও ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সব মিলিয়ে এবার ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করার মতো সুনির্দিষ্ট কোন বার্তা পাওয়া গেছে বলে মনে হচ্ছে না। বরং একটি একতরফা বিষয় ঘটলো বলেই মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে।
এবার ভারতের সাথে যে ক'টি সমঝোতা স্বারক সাক্ষর হয়েছে তাতে ভারত বেশ ক'টি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশের কাছ থেকে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিপুল রফতানি বৃদ্ধির পেছনে কৃতিত্ব মূলত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেরই ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারত ১০৪ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, যা একটি রেকর্ড। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে মনে করা হলেও ভারতের বিশেষত গার্মেন্ট শিল্প এই প্রবণতায় খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ থেকে রফতানিতে রাশ টানার জন্য তারা সরকারের কাছে জোরালো দরবার করছেন। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রফতানি সে দেশে কেন আর কী ধরনের 'ব্যাকল্যাশ' তৈরি করছে? ভারতে বাংলাদেশ থেকে রফতানির পরিসংখ্যান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে দুনিয়ার প্রায় ৬৭টি এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের, তার মধ্যে অ্যাঙ্গোলা বা মোজাম্বিক ছাড়া কখনও কোনও দেশ থেকে বার্ষিক রফতানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি। বাংলাদেশ সেই বিরল তালিকায় ঢুকে পড়েছে মূলত তৈরি পোশাক রফতানিতে ভর করেই, গত অর্থ বছরে যার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ। উদ্বিগ্ন ভারতীয় গার্মেন্ট নির্মাতারা এখন বাংলাদেশী পণ্যের ডিউটি-ফ্রি অ্যাক্সেস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যদিও দিল্লির গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ইকরিয়েরে'র (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনস) অধ্যাপক অর্পিতা মুখার্জি বলছেন, শুধু শুল্কে ছাড় পাওয়াটাই বাংলাদেশের একমাত্র অ্যাডভান্টেজ নয়। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "গার্মেন্ট খাতে ভারত কিন্তু আর বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জায়গাতেই নেই। থ্রিডি প্রিন্টারে ডিজাইনিং থেকে শুরু করে নানা প্রযুক্তিতে তারা ওখানে প্রচুর বিনিয়োগও করেছে, তার সুফলও পাচ্ছে।" ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল "একটা তুলনামূলকভাবে ধনী দেশ হয়েও আপনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, আর বলবেন বাংলাদেশের রফতানি কীভাবে বাড়ছে - তা তো হয় না।" "আমাদের শ্রমশক্তিও আর শস্তা থাকছে না। বাংলাদেশ এসিইজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের ফায়দা তুলছে, ওদিকে আমাদের এসিইজেড-কে আমেরিকা চ্যালেঞ্জ করে বসে আছে!" "সুতরাং আমাদের কোনও পলিসিরই ঠিকঠাক নেই। ফলে দোষটা তো পলিসির, বাংলাদেশের এক্সপোর্টের তো আর দোষ হতে পারে না", বলছেন ড: মুখার্জি। প্রেমাল উদানি ভারতের শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট শিল্পপতি, অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। দক্ষিণ ভারতের তিরুপুরে ভারতের একটি গার্মেন্ট কারখানা বিবিসিকে তিনি আবার বলছিলেন, "বাংলাদেশ থেকে ভারতে তৈরি পোশাক রফতানি এখন খুব তীব্র গতিতে বাড়ছে - বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ হারে।" "কিন্তু আমাদের মূল অভিযোগ হল, সার্টিফিকেট অব অরিজেনের নিয়মকানুন কিন্তু বাংলাদেশ মানছে না!" "মানে চীন বা অন্য কোনও জায়গা থেকে ফেব্রিক কিনে নিজের দেশে সেলাই করে সেটাই তারা ভারতে ডিউটি-ফ্রি রফতানি করছে।" "বাজার এগুলোতে ছেয়ে যাচ্ছে, জিনস-বেসিক শার্ট-বা চিনো প্যান্টের মতো কোর প্রোডাক্টে দেশী নির্মাতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ন।" "আমাদের বক্তব্য হল, বাংলাদেশকে শুল্ক ছাড় দেওয়ার নামে আমরা তো চীনা পণ্যকে পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে দিতে পারি না - একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো থাকা উচিত", বলছেন মি উদানি। বাংলাদেশে তৈরি জিনস ভারতের বাজার ছেয়ে ফেলছে বলে ভারতীয় শিল্প মালিকদের বক্তব্য প্রেমাল উদানি কেটি কর্পোরেশন নামে যে অ্যাপারেল সংস্থার মালিক, তাদের মূল কারখানা তামিলনাডুর তিরুপুরে। তামিলনাডুর ওই শহরকে ঘিরে অজস্র গার্মেন্ট কারখানা আছে, এই শিল্পমালিকদের সংগঠনও খুব শক্তিশালী। বাংলাদেশ থেকে যেসব তৈরি পোশাক ভারতে আসছে, বাজারে সেগুলোর সরাসরি প্রতিযোগিতা এই শিল্পাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্যের সঙ্গেই। দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন সিস্টেমে অর্থনীতিবিদ প্রবীর দে কিন্তু মনে করছেন, ভারতের গার্মেন্ট শিল্পে শক্তিশালী দক্ষিণ ভারতীয় লবি চাইলেও বাংলাদেশী পণ্যে নতুন করে শুল্ক বসানো সম্ভবই নয়। তার কথায়, "ভারতে আনব্র্যান্ডেড গার্মেন্টের মূল হাবটাই হল এই তিরুপুর। কিন্তু তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারছে না।" অর্থনীতিবিদ ড: প্রবীর দে "এখন তিরুপুর লবি বাংলাদেশের ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস বন্ধ করতে চাইলেও সেটা তো করা যাবে না। অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে ওরা আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব আরবিট্রেশনেও টেনে নিয়ে যেতে পারে।" "ভারতীয়রা যেটা করতে পারেন তা হল নিজেদের প্রোডাক্টে আরও ভ্যালু অ্যডিশন করে সেটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন, কম্পিটিটিভিনেস বাড়াতে পারেন কিংবা প্রোডাকশনের খরচ কমাতে পারেন।" "পাশাপাশি নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, বেশ কিছু ভারতীয় টেক্সটাইল সংস্থা আফ্রিকাতে গিয়েও কারখানা গড়ছেন। আফ্রিকাতে ওয়েজ আরবিট্রেজের (কম পারিশ্রমিক) সুবিধা নিয়ে উৎপাদন করে সেটাই আবার ভারতে রফতানি করছেন।" "একইভাবে ভারতের কোম্পানি অরবিন্দ মিলস বাংলাদেশে গিয়ে কারখানা তৈরি করে ওখান থেকে ব্যবসা করছেন", জানাচ্ছেন ড: দে। অরবিন্দ মিলসের কর্ণধার সঞ্জয় লালভাই, যিনি বাংলাদেশে কারখানা চালু করেছেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে হলে এগুলোই এখন ভারতীয় শিল্পপতিদের জন্য একমাত্র রাস্তা বলে মনে করছেন তিনি। অধ্যাপক অর্পিতা মুখার্জিও তার সঙ্গে একমত -ডিউটি-ফ্রি অ্যাকসেসের সুবিধা ভারত নানা কারণে প্রত্যাহার করতে পারবে না। তিনি বলছিলেন, "ডিউটি বাড়িয়ে ইমপোর্ট বন্ধ করা যায় না। সাময়িকভাবে গেলেও পাকাপাকিভাবে যায় না। বিদেশি মোবাইল ফোনে বিপুল ডিউটি বসিয়েও ভারতে কিন্তু মোবাইল ফোনের বিক্রিবাটা কমানো যায়নি।" "আসলে সমস্যাটা আমাদের নিজস্ব - আমাদের ইন্ডাস্ট্রি খুব খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এখন কি বাংলাদেশের ওপর ডিউটি বসিয়ে আর চীনকে জিরো ডিউটি দিয়ে আমাদের সমস্যার কোনও সমাধান হবে? সরাসরি প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে ভারতে তৈরি বেসিক শার্টও "বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী। দক্ষিণ এশিয়ায় যে ভারত নিজেকে নেতার ভূমিকায় দেখতে চায় সত্যিই কি তারা সেখানে বাংলাদেশকে ট্যাক্স করতে পারবে?", প্রশ্ন ড: মুখার্জির। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রফতানি, বিশেষ করে গার্মেন্ট, আরও বাড়বে এটা ধরে নিয়েই ভারতীয় নির্মাতাদের নিজেদের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর সেখানে সম্ভবত ভারত সরকারের বিশেষ কিছু করণীয়ও নেই।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ভারতে বার্ষিক রফতানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন শরীক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু একই অবস্থা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের। তিনিও প্রায় সাত বছর মন্ত্রী ছিলেন। যদিও তিনি এক মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। এবারের মন্ত্রিসভা গঠনের আগে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেনন অবধারিতভাবে মন্ত্রিসভায় থাকবেন। কিন্তু মন্ত্রিসভা দেখে অনেকেই চমকে উঠেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্রদের কেউ এবারের মন্ত্রিসভায় নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে সেটি দেখে অনেকে বেশ অবাক হয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা কি নতুন যাত্রা শুরুর চেষ্টা? বঙ্গভবনের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির-গরহাজির যারা স্থান হয়নি, তবুও মন্ত্রিত্বের আশা ছাড়েনি মহাজোট শরিকরা নতুন মন্ত্রিসভায় ২৭জন প্রথম বারের মতো মন্ত্রী হলেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া এবং ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের কারো জায়গা না হওয়া নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল স্পষ্টতই মনঃকষ্টে ভুগছেন। মি: মেনন বিবিসি বাংলাকে বলেন, জোটের শরীকদের কেউ মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ১৪ দলের বৈঠক হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে অন্যদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথের পর থেকে তিনি অনেকটা আড়ালে চলে গেছেন। গণমাধ্যমের সাথেও কোন কথা বলছেন না তিনি। এমনকি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে দেখা যায়নি হাসানুল হক ইনুকে। মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ায় তাঁর হতাশা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন অনেকে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: টক-শো নিয়ে বিএনপি'র নীতিমালায় কী থাকছে? 'চুরি যাওয়া হৃদয়' ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ তরুণ ক্রিকেট মাতানো নেপালি ক্রিকেটারের উঠে আসার গল্প যৌনতার সুযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং? আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রবীণ নেতার সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি ১৪ দলীয় নেতাদেরও ১৪ দলের শরীকরা চাপ তৈরি করতে পারবে? ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন তাদের রাজনৈতিক শরীকদের মধ্য থেকে সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরীক দলগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সরকারের নানা সমালোচনা করতো। যুদ্ধাপরাধের বিচার, নানা আর্থিক কেলেঙ্কারী এবং পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবার কারণে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপে পড়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে দেশ যখন অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল তখন ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন জোটের শরীকদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেও এক ধরণের অসন্তোষ ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা চেয়েছিলেন তাদের দলের ভেতর থেকেই মন্ত্রিসভায় বেশি স্থান দেয়া হোক এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো তাদের হাতেই থাকুক। ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে মন্ত্রী হবার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে শুধু ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের। অন্য দলগুলোর তেমন কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর জাসদের মধ্যে ভাঙ্গনের কারণে দলটি আরো দুর্বল হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করছেন শেখ হাসিনা হাসানুল হক ইনুর সাথে মতপার্থক্যের জের ধরে জাসদ (আম্বিয়া) গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং মাঈন উদ্দিন খান বাদল। হাসানুল হক ইনু যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর দলের একটি অংশ চেয়েছিল তিনি সরকার থেকে বেরিয়ে আসুক। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেবার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে দরকষাকষির মতো অবস্থানে নেই ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরীকরা। মি: আহমদ বলেন, "এখন আওয়ামী লীগ বিপুল বিক্রমে, একচেটিয়া মনোপলি তাদের। জোট সঙ্গীদের আগের যে চাহিদা বা আবেদন সেটা ঐ অর্থে নেই। তাদের চাপ দেবার মতো কোন সক্ষমতা নেই।" মি: আহমেদ বলেন, পরবর্তীতে হয়তো মন্ত্রিসভায় দুই-একজন অন্তর্ভুক্ত হলেও হতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সরকারের মধ্যে কোন চাপ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর নেতারা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে এখন বেশ সাবধানী। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, একটি আদর্শকে কেন্দ্র করে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। শিরিন আক্তার বলেন, "আমরা জোটেই আছি। চিন্তা করবার কোন কারণ নেই" মন্ত্রিসভা এবং সরকার পরিচালনা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন জাসদ-এর আরেকটি অংশের (আম্বিয়া) নেতা মাঈন উদ্দিন খান বাদল। "আমি এটাকে খুব আশ্চর্যান্বিত হবার মতো বিষয় মনে করছি না।.. এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।" তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভায় অনেক সংযুক্ত হতেপারে। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। "কেউ মন্ত্রী হলেন না, মন্তব্য করলেন। এটা তো আমি ঠিক মনে করবো না। যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন তো মন্তব্য করেন নাই।" লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে জোটের শরীকদের অংশগ্রহণ কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? এর কোন রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে? এমন প্রশ্নে মি: খান বলেন, "১৪ দল নিজে বড় না। কিন্তু আরেকজনকে বড় করতে সহযোগিতা করে। সে হিসেবে ডেফিনিটলি ১৪ দল হ্যাজ কন্ট্রিবিউটেড অ্য লট (১৪ দল অনেক অবদান রেখেছে।)" রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন, মন্ত্রিসভায় স্থান না পেলেও সেটি নিয়ে খুব বেশি সমালোচনামূখর হবে না ১৪ দলীয় জোটের শরীকরা। ভবিষ্যতে কোন সম্ভাবনা তৈরি হয় কি না সেদিকেই তারা তাকিয়ে থাকবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় তথ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভায় স্থান পান তিনি। সেই থেকে একটানা সাত বছর তথ্য মন্ত্রণালয়ে ছিলেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ব্রেক্সিট নিয়ে আরেক দফা কঠিন পরীক্ষায় নামছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দীর্ঘ দেন-দরবার করে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে খসড়া চুক্তি তিনি চূড়ান্ত করেছেন সেটির প্রতি সমর্থন আদায়ে দ্বিতীয়বারের মতো তা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদের সামনে পেশ করবেন। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তার প্রথম প্রয়াস চরম ব্যর্থ হয়েছিল। যে ব্যবধানে তার চুক্তিটি তখন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, তার নজির ব্রিটিশ সংসদে নেই। তার নিজের রক্ষণশীল দলেরই ১১৮জন এমপি ঐ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তারপর গত কয়েক সপ্তাহ ইইউ নেতাদের সাথে নতুন দেন-দরবার করে কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চুক্তিটি আবার সংসদে নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অবাধে পণ্য এবং মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রাখা নিয়ে যে আপত্তি অনেকে করছিলেন, সেখানে ইইউ থেকে তিনি কিছু ছাড় পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত হবে সাময়িক। কিন্তু তাতে কি সন্দেহ পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে ? তার ব্রেক্সিট চুক্তি কি এমপি রা পাশ করে দেবেন? বিবিসির রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ল্যরা কুনজবার্গ বলছেন, তার জন্য আজ রাতে সংসদে ''রাজনৈতিক অলৌকিক'' ঘটনা ঘটতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দাবির সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফরি কক্স। তিনি বলছেন, এই বোঝাপড়া হয়েছে সদিচ্ছার ভিত্তিতে। তার মতে, ব্রিটেন চাইলেই আইনগত-ভাবে আইরিশ সীমান্তে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে পারবেনা। জানুয়ারিতে প্রথম ভোটে প্রধানমন্ত্রী মে ২৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। এতজন এমপির মত পরিবর্তন করার অসাধ্য সাধন করতে হবে তাকে। ব্রেক্সিটের বিপক্ষে লন্ডনে সমাবেশ ঐক্যমত্য কেন হচ্ছে না? কেন জানুয়ারিতে প্রথম ভোটে প্রধানমন্ত্রী মে ২৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন, তা অনেককেই বিস্মিত করেছিল। এর পেছনে কাজ করেছে বহু রকমের কারণ, যা বেশ জটিল। প্রথম কথা : ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে কোন সীমান্ত চৌকি, দেয়াল বা বেড়া - এসব কিছুই নেই। এক দেশের লোক অবাধে যখন-যেভাবে খুশি আরেক দেশে যেতে পারে, অন্য দেশে গিয়ে কাজ করতে পারে। কিন্তু ব্রিটেন যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তো ব্রিটেন অন্য দেশ হয়ে গেল। ফ্রি মুভমেন্ট অব পিপল্ - যা ইইউএর মূল নীতির অন্যতম স্তম্ভ - তা আর তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে সীমান্ত ফাঁড়ি থাকতে হবে। এক দেশের লোক বা পণ্য আরেক দেশে যেতে হলে কাস্টমস চেকিং পার হতে হবে। কিন্তু ব্রিটেন হলো একটা দ্বীপপুঞ্জ। ইউরোপ ও ব্রিটেনের মধ্যে আছে সমুদ্র - ইংলিশ চ্যানেল এবং নর্থ সি। এই সাগরই সীমান্ত। কিন্তু একটি-দুটি ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে। যেমন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড মিলে একটি আলাদা দ্বীপ। উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনের অংশ। আর আইরিশ প্রজাতন্ত্র একটি পৃথক দেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য । এ দুয়ের মধ্যে আছে স্থল সীমান্ত । তাই ব্রেক্সিটের পর এটিই পরিণত হবে ইউরোপ আর ব্রিটেনের স্থল সীমান্তে। ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেই এ সীমান্তে কাস্টমস চৌকি বসাতে হবে। আয়ারল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যত মানুষ ও পণ্য এখন মুক্তভাবে চলাচল করে - তখন তা আর থাকবে না। শত শত ট্রাক-বাসকে এখানে থামতে হবে, কাস্টমস চেকিং-এর জন্য লাইন দিতে হবে, পণ্য চলাচলে অনেক সময় ব্যয় হবে, দিতে হবে শুল্ক। কিন্তু অন্যদিকে - এই দুই আয়ারল্যান্ডের মানুষের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, অনেক পরিবারেরই দুই শাখা দুদিকে বাস করে। ইইউর অংশ হবার কারণে এতদিন সেখানকার লোকেরা মুক্তভাবে একে অন্যের দেশে গিয়ে চাকরি-বাকরি ব্যবসাবাণিজ্য করতেন । এই সবকিছুর মধ্যেই তখন নানা বাধার দেয়াল উঠে যাবে। আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সহিংস বিদ্রোহের অবসানের জন্য হওয়া গুড ফ্রাইডে চুক্তিতেও আয়ারল্যান্ডের দুই অংশের যোগাযোগ যেভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে - তাও এতে বিপন্ন হতে পারে। স্ট্রাসবুর্গে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইয়ংকার এবং প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ব্যাকস্টপ নিয়ে বিপত্তি এটা যাতে না হয় - সেজন্যই ব্রেক্সিটের পরের জন্য টেরিজা মে'র পরিকল্পনায় ছিল 'ব্যাক-স্টপ' নামে এক ব্যবস্থা। এতে বলা হয়, দুই আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোন 'হার্ড বর্ডার' বা বাস্তব সীমান্ত থাকবে না। মানুষ ও পণ্যের অবাধ চলাচল যথাসম্ভব আগের মতোই থাকবে। তবে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থায় সেই সীমান্ত পিছিয়ে চলে যাবে আইরিশ সাগরে। অর্থাৎ উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে পণ্যবাহী ট্রাক যখন ব্রিটেনের মূলভূমিতে ঢোকার পথে সাগর পার হবে - তখন তার কাস্টমস চেকিং হবে, তার আগে নয়। অন্যদিকে ব্রিটেন থেকে যখন পণ্যবাহী ট্রাক উত্তর আয়ারল্যান্ডে যাবে - তখন সেই পণ্য ইইউ মানের সাথে সংগতিপূর্ণ কিনা তাও পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু এর বিরোধীদের আপত্তি হলো - তাহলে তো দেশের দুই অংশের জন্য দু'রকম নিয়ম হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর আইনের কাঠামোর মধ্যেই থেকে যাচ্ছে, এটা হতে পারে না। টেরিজা এখন বলছেন, এ ব্যবস্থা হবে সাময়িক, এবং সে ব্যাপারে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা আদায় করতে পরেছেন যার আইনগত ভিত্তি থাকবে। ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ হবেনা। ব্যাকস্টপ সন্দিহানরা তাতে ভরসা পাবেন, বলা মুশকিল। এছাড়া, ব্রিটিশ সংসদে বহু এমপি রয়েছেন যারা এই ব্রেক্সিটকেই সমর্থন করেন না। নতুন একটি গণভোট চাইছেন তারা। ব্রেক্সিট বিরোধী এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তিত চুক্তিকেও সমর্থন করবেন না ফলে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি সংসদ পাশ করবে এবং ব্রিটেন ২৯শে মার্চ ইইউ জোট থেকে বেরিয়ে তা এখনও অনিশ্চিত। এই মহাসড়কের ঠিক মাঝখানে দুই আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত। অবাধে চলছে যানবাহন হেরে গেলে কী হবে? আজ তার চুক্তির ওপর ভোটে হারলে, দুটো বিকল্প থাকবে - এক, কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া; দুই, জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ইইউ এর কাছে আর্জি করা। কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরুনোর ব্যাপারে আগামীকাল (বুধবার) সংসদে প্রস্তাব আনা হবে। এ নিয়ে বহু এমপির তীব্র আপত্তি রয়েছে। তারা মনে করেন, ব্রিটেনের অর্থনীতি-রাজনীতির জন্য তা চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে। ব্রিটেনের ব্যবসায়ী মহলেরও সেটাই আশঙ্কা। এই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হলে বৃহস্পতিবার প্রস্থানের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে আজ (মঙ্গলবার) তার রাজনৈতিক জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় নামছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রকেটে না তুলেই চাঁদে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা দেয়ার উপায় বের করেছেন বাংলাদেশের একদল তরুণ। যেটা কিনা 'নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে' বাংলাদেশের জন্য প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব ছিনিয়ে এনেছে। এই অ্যাপ থেকে কী জানা যাবে? এই অ্যাপটির মাধ্যমে মূলত নাসার অ্যাপোলো-১১ অভিযান, মহাকাশ যানটির অবতরণ এলাকা, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আবর্তন করা যাবে। নাসায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী এই দলটির নাম সাস্ট অলিক। ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে মোট পাঁচজন সদস্য রয়েছেন এখানে। তারা হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম, আবু সাদিক মাহদি এবং সাব্বির হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান। আর এই দলটিকে মেন্টর হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন এই পুরো অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে। আরও পড়তে পারেন: চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান চাঁদের বুকে গাছের চারা গজিয়েছে চীন চাঁদের মালিকানা আসলে কার? ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ আসলে কী? পৃথিবী থেকে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন কাছ থেকে চাঁদকে দেখার সুযোগ পেয়েছে। সেইসব মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা সেইসঙ্গে নাসার তথ্য উপাত্ত থেকে চাঁদের ব্যাপারে যে ধারণা পাওয়া গেছে সেগুলো সমন্বিত করে এই অ্যাপে দৃশ্যমান করা হয়েছে বলে জানান মিস্টার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "লুনার ভিআরের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে চাঁদের পৃষ্ঠটা দেখতে কেমন, সেখানে কী কী আছে, সেখানকার তাপমাত্রা কেমন, মহাকাশ যান অ্যাপোলো-১১ কোথায় অবতরণ করেছিল।" অর্থাৎ নাসার যে গবেষণাগুলো সাধারণ মানুষের আজও অদেখা অজানা, সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলটি। যার মাধ্যমে যে কেউ চাঁদে না গিয়েও চাঁদ দেখতে কেমন সেটা ৩৬০ ডিগ্রী ভিউতে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। ঘুরতে পারবেন। হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন। এছাড়া চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ দেখতে কেমন লাগবে, সূর্যগ্রহণের অভিজ্ঞতা কেমন হবে সেটার একটি কল্পিত রূপ তুলে ধরা হয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশনে। যার নাম রাখা হয়েছে সোলায়লিপস। চাঁদ কিভাবে পাওয়া যাবে লুনার ভিআর: মূলত চাঁদে ভ্রমণের বাস্তব অভিজ্ঞতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবে লুনার ভিআর। এতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়ে আরও জানার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন অনুসন্ধিৎসু দলটির প্রধান অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে লুনার ভিআর নামের এই অ্যাপটি সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া আই ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপলে শিগগিরই এই অ্যাপটি যুক্ত করার কথা রয়েছে। নাসার কাছে এই চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে যতো তথ্য আছে সেগুলোর একটি পরাবাস্তব রূপ এই অ্যাপ্লিকেশনটি। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে মহাকাশ গবেষণার তথ্য উপাত্তগুলো সহজ ভাষায় ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। প্রতিযোগিতার আদ্যোপান্ত: এ বছর নাসা, বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক শহরে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহর থেকে এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা জমা দিতে বললে, প্রাথমিকভাবে দুই হাজারের বেশি প্রজেক্ট জমা পড়ে। সেখান থেকে প্রতি জেলা থেকে একটি করে মোট আটটি প্রকল্প বেছে নেয়া হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগীরা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রজেক্ট নাসার কাছে জমা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক আসরে ৭৯টি দেশের বাছাইকৃত ২৭২৯টি দলের সঙ্গে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের সাস্ট অলিক। ভি আর মূল প্রতিযোগিতায় মোট ছয়টা ক্যাটাগরির মধ্যে "বেস্ট ইউটিলাইজেশন অব ডেটা" অর্থাৎ নাসার কাছে যে তথ্য আছে তার সবচেয়ে ভাল প্রয়োগের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ 'লুনার ভিআর' প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। পেছনে ফেলে দেয় ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপান থেকে আসা দলগুলোকে। বৈশ্বিক পর্যায়ের এমন আসরে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া এটাই প্রথম। এছাড়া বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়ার ক্যাটাগরিতেও শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল 'প্ল্যানেট কিট'।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এ যাবতকালের বিভিন্ন গবেষণার তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে 'লুনার ভিআর' নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের যে পাহাড়ে চন্দ্রবাহুর বাড়ি, সেই উলুছড়ির গোড়াতেই সবার চেনা কাপ্তাই লেক। মঙ্গলবার বিকেলবেলা আক্ষরিক অর্থেই পাহাড় ভেঙে পড়ে চন্দ্রবাহুর বাড়ির উপর। বাঁধভাঙা মাটির জোয়ারে চাপা পড়ে তার আধাপাকা টিনের বাড়ি আর অর্থকরী ফলের বাগান। অবশ্য আগেভাগেই পরিবারের ৫ সদস্য গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল আরেক আত্মীয়ের শক্তপোক্ত বাড়িতে। চাকমা ভাষায় এসব কথা সংবাদদাতাকে বলছিলেন চন্দ্রবাহু। তার কথাবার্তা বাংলায় তরজমা করে শোনান চেয়ারম্যান বরুন কান্তি। ভারী বর্ষণে গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলে যে ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তাতে সবচাইতে বেশী প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাঙামাটিতেই। এখন পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়নি। ওদিকে একটি বড় সংখ্যায় মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ায় তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু একদিকে ভূমিধসের কারণে রাঙামাটির সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে, ওদিকে রাঙামাটির বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বজন হারানো এক নারীর আহাজারি রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে রাঙ্গামাটি থেকে সংবাদদাতা সুনীল দে জানাচ্ছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠিক করার জন্য সেখানে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কারণ রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে সেখানকার সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে রাঙামাটিতে আবার কখন বিদ্যুৎ সংযোগ পুন:স্থাপিত হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত যতদূর জানা যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন কিছু কিছু ত্রাণ বিতরণ করছে। আর সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টারযোগে কিছু ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রাঙামাটিতে পৌঁছেছেন বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতারা। কিন্তু শহর থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরবর্তী বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরুন কান্তি বলছেন, তার ইউনিয়নের সতেরোশো পরিবারের সবাই কোন না কোনভাবে এই ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত। সবার ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু সংস্থান নেই। কেউ কোন সাহায্য নিয়ে এখন পর্যন্ত আসেওনি। "আপনি যদি ওখানে যান, তাহলে দেখবেন, যেখানে ঝোপ জঙ্গল ছিল, পাহাড় ছিল, ফলের গাছ ছিল, ওগুলা কিছু নাই এখন। সব জমিতে পড়ে গেছে নয়তো কাপ্তাই লেকে পড়ে গেছে"। চেয়ারম্যান বলছিলেন, বন্দুকভাঙ্গায় আজ সাপ্তাহিক হাটের দিন। বিভিন্ন পাহাড় থেকে হাট উপলক্ষে সেখানে আসছেন মানুষজন এবং তার কাছে এসে জানতে চাইছেন কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যাবে কি না। কিন্তু চেয়ারম্যান তাদের কিছু জানাতে পারছেন না। উপজেলা প্রশাসন তার কাছে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে, তিনি ইউপি সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন তালিকা তৈরী করবার জন্য। কিন্তু পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা মনে করে চেয়ারম্যান ভয় পাচ্ছেন, "তালিকা পাঠানোর পরেও যদি কিছু না আসে! তখন গ্রামবাসীকে কি জবাব দেবেন তিনি?" আরো পড়ুন: 'শিশু কোলে নারী জানালার ধারে চিৎকার করছিল' দুধ-সংকট কাটাতে বিমানে কাতার যাচ্ছে ৪০০০ গরু ‘যদি বাজি লাগাতে হয় ইংল্যান্ডের ওপর লাগাতে হবে’ রাঙামাটির বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চন্দ্রবাহু চাকমা ভর দুপুরে এসে বসে আছেন চেয়ারম্যান বরুন কান্তি চাকমার দোরগোড়ায়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া বিক্ষোভের ছবি ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বাস করেন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক। পাঁচ দিন ধরে চলা বিক্ষোভের আঁচ কতটা পাচ্ছেন তারা? সেখানে কর্মরত একজন বাংলাদেশি পেশাজীবী মিস্টার শরীফ বলছিলেন, যানবাহনে বা রাস্তায় চলাচলে কোন বিধিনিষেধ নাই। স্থানীয় পত্রিকায় বিক্ষোভের খবর প্রকাশ হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে সারা দেশের বিক্ষোভের খরব। মূলত এই শহরগুলোতেই বিক্ষোভ চলছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সরকারের সমর্থনে যেসব র‍্যালী হয়েছে, সেগুলো প্রচার হয়েছে। আর সেসবই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে, ইরানে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সাধারণ ইরানিদের সহানুভূতি আছে। এর প্রধান কারণ সবাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে জিনিসপত্রের দাম। সেই সঙ্গে পারমানবিক চুক্তি হবার আগে স্থানীয় মানুষজনের প্রত্যাশা ছিল যে অর্থনীতির অবস্থা ভালো হবে। কিন্তু প্রত্যাশা মাফিক কোন অগ্রগতি সাধারণ মানুষের জীবনে হয়নি, যা হতাশা তৈরি করেছে। আরো পড়ুন:ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে পাক-মার্কিন বাকযুদ্ধ শুরু ইরানে বিক্ষোভকারীদের বড় অস্ত্র সোশ্যাল মিডিয়া ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? মিঃ শরীফ জানিয়েছেন, ইরানে বিবিসির সম্প্রচারে সরকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে খবরের জন্য তারা নির্ভর করছেন আল জাজিরা ও সিএনএনের ওপর। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেটের গতিও ধীর হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন মিঃ শরীফ। এর মূল কারণ ইরানে বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিবাদী কর্মসূচিগুলো ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে, বিশেষত টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে। বিশেষ করে টেলিগ্রাম ইরানে খুবই জনপ্রিয়। দেশটির জনসংখ্যা ৮ কোটি এবং তার মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি টেলিগ্রামে সক্রিয়। এদিকে, বিক্ষোভের পঞ্চমদিনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সমাবেশ এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইরানে বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির মূল শহরগুলোর একটিতে সংঘর্ষে একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের মাশা্দ শহর থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ গত চার-পাঁচদিনে অনেকগুলো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হবার খবর দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভি। যদিও সব মিলিয়ে মোট ১৩জনের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির মতো অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা রাজনৈতিক চেহারা নিয়েছে এবং এগুলো থেকে ধর্মীয় নেতা-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে উৎখাতের ডাকও দেয়া হচ্ছে।
সোমবারও রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে ইরান জুড়ে। যদিও দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই বিক্ষোভকে 'কিছুই না' বলে অভিহিত করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
যদিও ট্রেনকে বাংলাদেশে একটি নিরাপদ বাহণ হিসেবে মনে করা হয়, কিন্তু এর ঝুঁকির দিকগুলোও কম নয় এই দুটি ঘটনা কীভাবে হল তা খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে সব ট্রেন দুর্ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয় এর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য। কিন্তু এর মধ্যে কতগুলোর প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে? একটি তদন্ত রিপোর্ট ট্রেন দুর্ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি করার কথা শোনা যায়, যেমনটি দেখা গেছে সাম্প্রতিক দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে। কিন্তু তদন্তের পর কী হল সেটা অনেকের কাছে অজানা থাকে। এসব তদন্তের প্রতিবেদন এবং এর প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হল সেটা অনেকটাই গোপন থাকে। বিবিসির কাছে রেলওয়ে বিভাগের করা একটি প্রতিবেদন রয়েছে যেখানে ঢাকা বিভাগে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের ১৬টি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে। সিরাজগঞ্জে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস (সাম্প্রতিক ছবি) যেখানে ঘটনার তারিখ, স্টেশন, ট্রেন নম্বর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ,দায়ী কর্মচারী/বিভাগ ও শাস্তির বিবরণ দেয়া হয়েছে। ১৬টি দুর্ঘটনার শাস্তির বিবরণে লেখা রয়েছে: এই প্রতিবেদনে যাদের শাস্তির তালিকায় আনা হয়েছে তারা ট্রেনচালক, সিগনাল-ম্যান, গার্ড এই ধরণের কর্মচারীদের নাম রয়েছে। রেল-বিভাগের এই ধরনের তদন্ত প্রতিবেদন সাধারণত জনসমক্ষে আসে না। তবে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটিগুলো এমনভাবে গঠন করা হয় যাতে করে এই কমিটিতে যারা থাকে তারা তদন্তে একেবারে নিচের পর্যায়ের ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। এর ফলে উপরের পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা রয়েছেন,যারা নিয়োগ বা প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন তারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যান। ট্রেনকে নিরাপদ হিসেবে মনে করে মানুষ কী ব্যবস্থা নেয়া হয়: রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আপনারা কী ব্যবস্থা নেন? উত্তর: 'তদন্তের আগেই আমরা বুঝতে পারি কাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সেসব কর্মচারীকে আমরা প্রত্যাহার করি বা সাময়িক বরখাস্ত করি। কারণ আমরা মনে করি সেই মুহূর্তে তাদের যদি আমরা সার্ভিসে রাখি তাহলে আরো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তদন্তের পর যদি দেখি তারা দোষী না, তাদের আমরা পুনর্বহাল করি। আর যারা দোষী সাব্যস্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়'। প্রশ্ন: কী ধরণের শাস্তি দেয়া হয়? উত্তর:ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা এবং দায়-দায়িত্ব বিবেচনায় আমরা পেনাল্টি ইমপোজ করি। আমরা বদলি করা, পদাবনত করা, চাকরীচ্যুতও করি। প্রশ্ন: কিন্তু একটা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিরস্কার বা সতর্ক করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বলতে আপনারা কি করেন? ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন উত্তর: ২০১৬তে আমরা দুইজনকে চাকরীচ্যুত করেছি। তারা এখনো চাকরি পায়নি। ২০১৭তে আমরা চাকরীচ্যুত করেছি দোষী কয়েকজনকে। ক্ষতিপূরণ: ২০১৮ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের রাসেল আহমেদ - ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনি ট্রেনে দুর্ঘটনায় পড়েন। সেই দুর্ঘটনায় মি. আহমেদ পায়ে আঘাত পান। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তার পা কেটে ফেলে দিতে হয়। রাসেল আহমেদের ভাই রুহেল আহমেদ বলছিলেন, একজন কর্মক্ষম মানুষ যখন বেকার হয়ে পড়ে তখন তার এবং পুরো পরিবারের জন্য বিষয়টা দুর্বিষহ হয়ে পরে। তিনি বলছিলেন "আমরা ক্ষতিপূরণ পাইনি। আমরা জানি না ক্ষতিপূরণ কীভাবে পেতে হয়। তবে আমরাও চাইনি। কারণ ক্ষতিপূরণ নেয়ার চেয়ে রেলের যারা এই দুর্ঘটনার সাথে দায়ী তাদের শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমরা মনে করি এটা করলে আরো দশটা মানুষের জীবন বাঁচবে"। বাংলাদেশের রেলের যে আইন রয়েছে সেটা বহু পুরনো ১৮৯০ সালের। সেখানে দুর্ঘটনায় হতহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেয়ার নিয়মের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছিলেন রেলের মহাপরিচালকের সাথে। মি. শামছুজ্জামান বলেছেন এই নিয়মটা পরিবর্তন করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন তারা। সেটা এখন সংসদের এখতিয়ারে রয়েছে। টিকেটের জন্য লাইন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান: বাংলাদেশ রেল বিভাগ বলছে ২০১৪সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত গত ৫ বছর দুর্ঘটনা হয়েছে ৮৬৮টা। এই দুর্ঘটনাগুলোতে ১১১ জন নিহত এবং আহত হয়েছে ২৯৮জন। তবে সম্প্রতি দুটো দুর্ঘটনা ধরলে এই সংখ্যা আসে ৮৭০টা। এই দুর্ঘটনাগুলোতে ১২৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছে তিনশর অধিক। ২০১০ সালের ৮ই ডিসেম্বর। বিকাল চারটার সময় মহানগর গোধুলী এবং চট্টলা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয় নরসিংদীতে। দুর্ঘটনায় ১৪জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। সেই দুর্ঘটনার কারণ, এবং কারা দায়ী সেটা অনুসন্ধানে কাজ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট এন্ড রিসার্চ ইন্সটিউটের একদল গবেষক শিক্ষক। তাদের একজন কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ সেই তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত একটা কপি দেখিয়ে বলছিলেন, সেই ঘটনার প্রতিবেদন তারা রেল বিভাগে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু যেসব, কারণ, সুপারিশ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা তারা বলেছিলেন তার কোনটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি বলছিলেন, "২০১০ সালে আমরা দুর্ঘটনা এড়ানোর যে কারণগুলো উল্লেখ করেছিলাম তার কোনটাই নেয়া হয়নি। একটা বড় বিষয় ছিল 'ডেড ম্যান প্যাডেল', যেটা চালককে পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি বেশিরভাগ ট্রেনে এটা অকার্যকর। ২০১০ এ এটা ফেল করার কারণে দুর্ঘটনা হয়। একই কারণে আমরা দেখলাম ২০১৯ সালে ১২ নভেম্বর দুর্ঘটনা হল"। এ বছরের জুনের ২৪ তারিখে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়। সেই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সিলেটের ওসমানী মেডিকেলের নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা। তিনি ঐ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। ইভার বাবা আব্দুল বারি বিবিসি কে বলেন, রেলমন্ত্রী সেই সময় ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ টাকা দেন, সাথে ঘর করে দেয়া এবং ইভার ছোট বোনের একটা চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন। আব্দুল বারি বলছিলেন এক লাখ টাকা তারা পেয়েছেন কিন্তু সন্তান হারানো বেদনা তো টাকা বা বাড়ি দিয়ে হয় না। তাঁর কাছে এই ক্ষতির কোন ক্ষতিপূরণ নেই। তবে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তিও হয় না বলে তিনি বিশ্বাস করেন। আরো খবর: মহারাষ্ট্রে মাঝরাতে বিজেপির নাটকীয় ক্ষমতা দখল বাংলাদেশের সাইকেল নিয়ে মমতার প্রস্তাব কি বাস্তবসম্মত? 'নগ্ন দৃশ্যগুলোয় অভিনয় করা কঠিন ছিল' বিজিবি বলছে অনুপ্রবেশকারী, পুলিশ বলছে বাংলাদেশি
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দুটি ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনা ছিল দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ । ওই সংঘর্ষে ১৬ জন মারা যায়। আরেকটি সংঘর্ষে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বেশ কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায় ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন "যে ঘটনা ঘটেছে খুব দু:খজনক ঘটনা। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত। গুটিকয়েক লোকের কারণে এ বদনাম হচ্ছে। অনেকে আমাদের এটি নিয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা এ ধরণের ঘটনা চাই না," ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। আজ তার জামিন আবেদন উঠেছে আদালতে। গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সোমবার রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় মামলা করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোজিনাকে গ্রেফতারের আইন নিয়ে সরকার ও সাংবাদিকদের ভিন্ন অবস্থান সাংবাদিক নিজেই মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ, কারাগারে পাঠানো হলো রোজিনা ইসলামকে মঙ্গলবার আদালতে নেয়ার দৃশ্য এ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘ থেকেও। উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠন। এসব দিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন এখন এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলবে যা তার মন্ত্রণালয়কেই সামলাতে হবে। মিস্টার মোমেন বলেন শেখ হাসিনার সরকার সংবাদপত্র বান্ধব সরকার। "আমরা কখনো আপনাদের নিষেধ করিনি। আমাদের গোপন করার কিছু নেই। তবে যেহেতু বিচারাধীন, আমি আর কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। আশা করি রোজিনা ন্যায়বিচার পাবে"। ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন সংবাদমাধ্যম দেশের জন্য বিরাট কাজ করছে। "আপনাদের কারণেই বালিশের কাহিনী, লাখ টাকার সুপারি গাছ কিংবা সাহেদ করিমের তথ্য পেয়েছি এবং সরকারও অ্যাকশন নিয়েছে। আপনারা সরকারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন," উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যা ঘটেছে তা খুব দু:খজনক ঘটনা, ফরেন মিনিস্ট্রি হিসেবে এটা তাদের সামলাতে হবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উল্টো পথে গাড়ি চালানোর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচিত ভিডিওটি শুক্রবার রাতে ঢাকার বেইলি রোড থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করা একটি লাইভ ভিডিওর অংশ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে আসার জন্য বেসরকারি একটি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইছে পুলিশ। কিন্তু তিনি সেটি দিতে অস্বীকার করছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলছেন, পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তার কথা হয়েছে। এই ভিডিওটি করেছেন, মুনজারিন ইশতিয়াক নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। ঘটনার পর পুলিশ তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে সব ভিডিও মুছে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ফেসবুকে সরাসরি লাইভ হওয়ায় ভিডিওটি থেকে গেছে, যা পরে ভাইরাল হয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। কিভাবে তিনি ভিডিওটি করেছিলেন এই প্রশ্নের জবাবে মি. ইশতিয়াক বলেছেন, "বেইলি রোডে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি উনাকে প্রথম দেখি শান্তিনগর সিগন্যালে। ওখানে উনাদের এবং পুলিশের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল। আমি পুলিশের পিছন পিছন গেছি দেখার জন্য যে এখন ওরা কি করে। কারণ ওই ভদ্রলোককে দেখে বোঝা যাচ্ছিল উনি অনেক প্রভাবশালী কেউ।" "ভিডিওর এক পর্যায়ে উনি আমার ফোন কেড়ে নিতে চান, জানতে চান আমি কে? আমি কিছু না বলে ভিডিও করি, কিন্তু পরে এক পর্যায়ে উত্তর দেই- আমি উৎসাহী জনতা।" প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে: লাল বৃত্তের মধ্যিখানের যানবাহনগুলো দেখুন- মাইক্রোবাসটি রঙ সাইড দিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে গত দু'দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখিও হচ্ছে। সেই সঙ্গে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর পরেও পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিবিসি বাংলার কাছে তিনি দাবী করেছেন, তিনি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি। "আমি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, আমি একুশে টিভির সিইও, এটা যারা ফেসবুকে লেখালেখি করছেন, তারা বের করেছেন। কিন্তু যে ভিডিও করেছে বা পুলিশ, জিজ্ঞেস করে দেখেন তো আমি তাদের নিজের পরিচয় দিয়েছি কিনা?" "পুলিশও বারবার জানতে চেয়েছে আমি কে। কিন্তু আমি পরিচয় দেইনি, ফলে প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন আসছে না।" "আমি যদি প্রভাব খাটাতে চাইতাম, তাহলে আমি পরদিন ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতাম, আইজিপির সঙ্গে কথা বলতাম। কিংবা আমার ক্রাইম রিপোর্টারকে বলতাম, এর বিষয়ে খোঁজ নেন। এসবের কিছুই করিনি আমি।" তবে এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উল্টোপথে গাড়ি চালানোর বিষয়টি নিয়ে আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই অভিযুক্ত সাংবাদিক রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ি চালানোর কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ট্রাফিক পুলিশের চালানো এক অভিযানে সচিব, প্রতিমন্ত্রীসহ প্রভাবশালীদের জরিমানা করার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় একদিনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ৫০টি গাড়িকে জরিমানা করার পর বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু আলোচিত হলেও দেখা গেছে, উল্টোপথে গাড়ি চালানো বন্ধ হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ডিভিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করতে অনেক সময়ই হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। "মূল বিষয়টা কেবল প্রভাবশালী না, ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নিতে গেলে যে কোন সাধারণ মানুষও পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় নষ্ট করে আমাদের। প্রভাবশালী বলেন আর যেই হোক, ট্রাফিক প্রসিকিউশনের ইস্যু আসলে সবার কাছ থেকেই আমরা অসহযোগিতা পাই।" তিনি বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু কালকেই হয়তো রাতারাতি এর ফল পাবেন না।" তবে তিনি স্বীকার করেছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ম ভঙ্গ করে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া বেশিদূর অগ্রসর হয়না। কিন্তু মিঃ আলম বলছেন, নিয়ম মানার সংস্কৃতিতে ঘাটতি আছে, আর সেটি ঠিক করারই চেষ্টা করছে ট্রাফিক বিভাগ।
বাংলাদেশে সড়কের উল্টো পাশ দিয়ে একজন সাংবাদিকের গাড়ি চালানোর কারণে তাদেরকে থামানোর পর পুলিশের সঙ্গে বচসা নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যের প্রবেশপথে একটি প্রাচীন স্তূপ পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, মূলত দিল্লির ওপর আরও চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেই ভুটানের ওই সাকতেং অভয়ারণ্যকে চীন নিজেদের বলে দাবি করছে – কারণ ভুটানের অখন্ডতা রক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্য ভারত অঙ্গীকারাবদ্ধ। চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভুটান দিল্লিতে তাদের দূতাবাস মারফত চীনের কাছে একটি ডিমার্শ বা কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছে। ভুটানের পূর্বদিকে ত্রাশিগিং জেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় প্রায় সাড়ে ছশো বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি অভয়ারণ্যের নাম সাকতেং – যা বহু বিরল বন্য পশুপাখির আবাসভূমি। মাসখানেক আগে এই বনভূমির উন্নয়নে একটি প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে 'গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি' বা জিইএফ একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন বৈঠকের আয়োজন করেছিল – সেখানেই চীন প্রথম দাবি করে সাকতেং তাদের। বিশ্ব ব্যাঙ্কে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধি অপর্ণা সুব্রামনি ওই বৈঠকে ভারত-ভুটান-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি চীনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সম্প্রতি ওই অনলাইন বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী সামনে আসার পরই বোঝা যায় যে ভুটানের সাকতেং-কেও চীন এখন বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে। চীনের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন দিল্লিতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল এরপর এ সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের 'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকাকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাকতেং-য়ের ওপর তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেছে 'কোনও তৃতীয় পক্ষ যেন এখানে নাক না-গলায়'! কেন সাকতেং-য়ের ওপর চীনের এই দাবি? থিম্পুতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইন্দর পাল খোসলা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আমার মতে চীন এখন পুরোপুরি একটা সম্প্রসারণবাদী দেশের মতো আচরণ করছে।" "তারা ভুটানের এমন একটা জায়গা দাবি করে বসেছে যেটা নিয়ে আগে কখনও বিতর্ক ছিল না, ওই দুই দেশের মধ্যে চব্বিশ রাউন্ড সীমান্ত বৈঠক হলেও সাকতেং কিন্তু কখনও আলোচনার টেবিলেই ওঠেনি।" "এখন তো দেখছি তারা কোনও সীমান্ত সমঝোতারই ধার ধারছে না, এমন কী রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত দাবি করছে। আমরা শুধু আশা করতে পারি, চীনের এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট বেশিদিন চলবে না এবং তারা এই সব বন্ধ করবে", বলছিলেন সাবেক কূটনীতিবিদ মি খোসলা। গ্রীষ্মে সাকতেং-য়ে পশুপালন করাতে যান ভুটানের ব্রোকপা উপজাতির লোকজন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-তে চীন বিশেষজ্ঞ এম টেলর ফ্র্যাভেল জানাচ্ছেন, চীনের এই দাবির পেছনে আছে ১৭১৫ সালে তিব্বত ও ভুটানের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তি। ওই চুক্তিতে না কি সাকতেং-য়ের ওপর তিব্বতের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়া হলেও ভুটানের মেষপালকদের ওই তৃণভূমিতে গরু-ভেড়া চরানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে সাকতেং ভুটানের অংশ – কিন্তু এখন চীন বলছে যেহেতু তিব্বত তাদের, সুতরাং সাকতেংয়ের ওপরও তাদের অধিকার বর্তায়। সাকতেং কি স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ? দিল্লিতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ডিপ্লোম্যাটিক এডিটর ইন্দ্রাণী বাগচীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এই অভয়ারণ্যের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কোথায় যে চীন এটি কব্জা করতে চাইছে? তিনি বলছিলেন, "ওই অঞ্চলের মানচিত্রটা দেখলেই বুঝবেন ওই সাকতেং হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশের যে সেলা পাসে '৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধ হয়েছিল তার ঠিক উত্তর দিকের এলাকা।" "চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল গোটা অরুণাচল প্রদেশটাকেই কব্জা করে নেওয়া, ফলে এটা সেই পরিকল্পনার একটা অংশ হতেই পারে।" "দ্বিতীয়ত, বিশেষ করে এই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ চীন দেখতে পাচ্ছে লাদাখ বা কালাপানি নিয়ে ভারত আগে থেকেই চাপে আছে – ফলে দিল্লির ওপর রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোও একটা উদ্দেশ্য হতে পারে।" "তৃতীয়ত, চীন ভুটানের ওপর এই চাপটা এমন একটা মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় যাতে ভুটান ভারতকে বলতে বাধ্য হয় যে আমরা চীনের সঙ্গে আলাদাভাবে বিষয়টা নিয়ে বোঝাপড়া করে নিচ্ছি!", বলছিলেন ইন্দ্রাণী বাগচী। চীনের আসল নিশানা কি তাহলে ভারত? বস্তুত ভারতের প্রভাব বলয় থেকে ভুটানকে যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চীনের দীর্ঘদিনের। তবে তিন বছর আগে ডোকলাম সঙ্কটের সময় যেভাবে ভারতীয় সেনারা ভুটানের হয়ে চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল, চীনকে সেটা বেশ অবাকই করেছিল। তার পরেও অবশ্য ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে গেছে চীন, থিম্পুতে তারা দূতাবাসও খুলতে চেয়েছে বার বার। আরো পড়তে পরেন: চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের পেছনে যেসব কারণ ভারতে চীনা পণ্য বয়কট কি আদৌ সম্ভব? ইন্দ্রাণী বাগচী জানাচ্ছেন, "কূটনৈতিক সম্পর্ককে আপগ্রেড করে থিম্পুতে চীন তাদের নিজস্ব দূতাবাস খুলতে চাইছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভুটানের রাজাদেরই তাতে আপত্তি ছিল।" "আসলে এটা কিন্তু শুধু চীন নয়, বেশির ভাগ দেশেরই থিম্পুতে কোনও দূতাবাস নেই – দিল্লিতে সেই সব দেশের রাষ্ট্রদূতরাই ভুটান-টা কভার করে থাকেন। এটা আমেরিকা বা জাপানের ক্ষেত্রেও সত্যি।" "তারপরও চীন বারবার ভুটানে নিজেদের দূতাবাস চেয়েছে। কিন্তু ভুটানের রাজা, যাকে সে দেশের লোক 'কে-ফোর' বা 'দ্য কিং ফোর' বলে ডাকেন, তিনি ও তাঁর পূর্বসূরী কে-থ্রি মিলে অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটার কোনও দরকার নেই", বিবিসিকে বলছিলেন ইন্দ্রাণী বাগচী। সাকতেং-য়ের ওপর চীনের দাবিকে নস্যাৎ করে ভুটানের যে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র বা ডিমার্শ, সেটাও পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে চীনের দূতাবাসেই। আর ভারত মনে করছে, লাদাখের গালওয়ান বা প্যাংগং লেকে চীনের সঙ্গে এবং কালাপানিতে নেপালের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ তো আছেই – এখন সাকতেং-এও ভুটানের বকলমে আসলে ভারতের সঙ্গেই চীন বিরোধের নতুন একটি ফ্রন্ট খুলতে চাইছে।
লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধের পটভূমিতেই চীন এবার প্রতিবেশী ভুটানের পূর্বাঞ্চলে একটি বিস্তীর্ণ অংশের ওপরও নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটে আরো দুটো যমজ শিশু রয়ে গেছে। ওই নারীর চিকিৎসকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গর্ভকাল পূরণ করার আগেই প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়সী আরিফা সুলতানা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রথম শিশুটির জন্ম দেন। এর ২৬ দিন পর আবারও তার পেটে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখতে পান যে তিনি আসলে তখনও অন্তঃসত্ত্বা। তার দ্বিতীয় একটি জরায়ুতে আরো দুটো যমজ শিশু বেড়ে উঠছে। তখনই দেরি না করে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই দুটো শিশুরও প্রসব ঘটানো হয়। জন্মের পর যমজ শিশু দুটো স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং কোন জটিলতা না থাকায় চারদিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আরিফা সুলতানা তার তিনটি নবজাতককে নিয়েই বাড়িতে ফিরে যান। আমরা বিস্মিত হয়েছি আরিফা সুলতানার প্রথম শিশুর জন্ম হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর ঠিক ২৬ দিন পর তিনি আবার বলতে থাকেন যে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। পরে ২১শে মার্চ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোরের আদ-দীন হাসপাতালে। গাইনোকলিজস্ট ড. শীলা পোদ্দার তখন অপারেশন করে যমজ ওই দুটো শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শীলা পোদ্দার বিবিসিকে বলেন, "রোগীকে যখন নিয়ে আসা হলো তখন আমরা আলট্রাসাউন্ড করে দেখতে পাই যা তার পেটে যমজ শিশু রয়েছে।" "এতে আমরা খুব বিস্মিত হয়ে যাই। আমার জীবনে আমি এরকম ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি।" তবে দ্বিতীয়বার কেন তিনি ভিন্ন একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, এবং কেন প্রথম সন্তান জন্মের সময়ই তার পেটে আরো বাচ্চা থাকার ব্যাপারটা বোঝা যায় নি - সেটি খুব একটা পরিষ্কার নয়। চিকিৎসক বলছেন, মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে আরো পড়তে পারেন: গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে আগুন নিয়ন্ত্রণে মৃত মস্তিষ্ক নিয়েও সন্তান জন্ম দিলেন এক নারী ব্রেক্সিট: আর কী বিকল্প হাতে আছে ব্রিটেনের? ড. পোদ্দার বলেনে, মিজ সুলতানা এবং তার স্বামী "খুবই গরিব মানুষ এবং ওই নারীর এর আগে কখনো আলট্রাসাউন্ড করা হয়নি।" "আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটের ভেতরে আরো দুটো বাচ্চা আছে। তাদের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে।" "বাচ্চারা এবং তাদের মা ভাল আছে। আমি খুব খুশি যে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয়েছে," বলেন ড. শীলা পোদ্দার। সিঙ্গাপুরের একজন গাইনোকলজিস্ট বলেছেন, দুটো জরায়ু থাকা খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। "মানুষ যেরকম মনে করে আসলে তা নয়।" "আপনি যদি আগে কোন স্ক্যান করান তাহলেই দেখতে পাবেন যে পেটের ভেতরে দুটো জরায়ু আছে। কিন্তু যেহেতু তারা একেবারেই গ্রামের মানুষ তাই হয়তো তাদের কখনো আলট্রাসাউন্ডই করা হয়নি।" বলেন ড. ক্রিস্টোফার এনজি। "মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে," বলেন তিনি। মিজ সুলতানা বলেছেন, তিন বাচ্চা নিয়ে তিনি খুব খুশি। তার একটাই দুশ্চিন্তা এদেরকে তিনি বড় করবেন কীভাবে! বার্তা সংস্থাকে এএফপিকে তিনি বলেছেন, তার স্বামী একজন দিনমজুর এবং তিনি মাসে ৬,০০০ টাকার মতো রোজগার করেন। তার স্বামী বলেছেন, বাচ্চাদেরকে লালন পালন করার খরচ যোগাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন। তিনি বলেন, "এটা আল্লাহরই এক অলৌকিক ঘটনা যে আমার সব বাচ্চারাই ভাল আছে। তাদেরকে খুশি রাখার জন্যে আমি যা করা দরকার সেটা আমি করবো," বলেন তিনি।
বাংলাদেশে এক নারী একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার আরো প্রায় এক মাস পর আরো দুটো যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
রাখাইনের গ্রামগুলোতে সৈন্যদের অভিযান থেকে বাঁচতে পুরুষেরা সব পালিয়ে গিয়েছিল। তারা পেছনে ফেলে গিয়েছিল শিশু, নারী আর বৃদ্ধদের। এরপর থেকে চেয়ে-চিন্তে জীবনধারণ করছেন আয়মার। তিনি মিয়ানমারের বহু রোহিঙ্গা নারীর মধ্যে একজন, যারা রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর মাসের পর মাস চলা 'নির্মূল অভিযানের' সময় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হবার অভিযোগ করেন। জাতিসংঘের আশঙ্কা, ওই অভিযান এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে সেটা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান। বার্তা সংস্থা এএফপি সম্প্রতি মিয়ানমারের সরকারের পরিচালিত একটি সফরে রাখাইন প্রদেশে গিয়ে আয়মার বাগনের সঙ্গে কথা বলে। তিনি কায়ার গং টং নামে একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামে বার্তা সংস্থার সংবাদদাতা সরকারি লোকজনের অজ্ঞাতসারে একদল রোহিঙ্গা মহিলার সাথে কথা বলেন, যারা সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করেন সংবাদদাতার কাছে। "সন্তান প্রসবের মাত্র কয়েকদিন আগে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। আমার তখন নয় মাস চলছিল। তারা জানতো আমি গর্ভবতী, কিন্তু তাতেও দমেনি তারা," ছোট্ট একটি কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে বলছিলেন আয়মার বাগন। আরো পড়ুন: ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র মাসের পর মাস চলা অভিযানের সময় বহু মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তিনি বলছিলেন, "এটা ঘটবার জন্য আমাকে অভিযুক্ত করে আমার স্বামী। একারণে সে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে আরেক গ্রামে গিয়ে থাকছে এখন। আয়মার বাগনের বয়স মাত্র কুড়ি। দুই সন্তানের মাতা হাসিন্নার বায়গনের বয়েসও কুড়ি। তিনি বলছেন, তাকেও পরিত্যাগ করার হুমকি দিয়েছে তার স্বামী। কারণ গত ডিসেম্বরে তিনজন সৈন্য তাকে ধর্ষণ করেছিল। এসব ঘটনা যখন ঘটছিল তখন রাখাইনের গ্রামগুলো ছিল পুরুষশুন্য, রয়ে গিয়েছিল শুধু মহিলা, শিশু আর বয়স্ক মানুষেরা। সৈন্যদের ধর্ষণ করবার এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সরকার। এই অভিযোগগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৭৪ হাজার রোহিঙ্গাদের অনেকেই জাতিসংঘ তদন্তকারী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে যেসব অভিযোগ জানিয়েছে, সেগুলোর সাথে এগুলো মিলে যাচ্ছে। কায়ার গং টংয়ের রোহিঙ্গারা বলছে, তাদের গ্রামে পনেরোটির মত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে তিনটি ধর্ষণের ব্যাপারে তারা মামলা করেছেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। বাকিরা ভবিষ্যত হয়রানীর আশঙ্কায় অভিযোগ জানাতে চায়নি। 'কিছু মহিলা সম্মানহানির ভয়ে অভিযোগ জানায়নি', বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী। মানবাধিকারী গোষ্ঠীগুলো বহুদিন দরেই অভিযোগ করে আসছে যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সীমান্তের জাতিগত সংঘাতগুলোতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
রোহিঙ্গা মুসলিম আয়মার বাগন যখন তার স্বামীকে জানান যে তার গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে মিয়ানমারের সৈন্যরা তাকে গণর্ধষণ করে, তখন তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জর্জ করোনেস কুইন্সল্যান্ডে এক সরকারি টুর্নামেন্টে ১০০-১০৪ বছর বয়েসের ক্যাটাগরিতে জর্জ করোনেস ৫০ মিটার সাঁতরেছেন মাত্র ৫৬ দশমিক ১২ সেকেন্ডে। এর আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল তার সময়ের চাইতে ৩৫ সেকেন্ড বেশি। ২০১৪ সালে ব্রিটিশ সাঁতারু জন হ্যারিসন ১ মিনিট ৩১ দশমিক ১৯ সেকেন্ডের ওই রেকর্ডটি করেছিলেন । আরো পড়ুন: নদীতে সাঁতার কেটে প্রতিদিন অফিসে যান তিনি সাঁতার না জানলে ডিগ্রি দেবে না চীনা বিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার কেটে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশী গ্রেফতার জর্জ করোনেস এ বছর এপ্রিল মাসে মি করোনেসের বয়েস ১০০ পুরো হবে। বিশ্বরেকর্ড করতে পেরে তিনি দারুণ খুশি। তিনি বলেন, তার গতি এবং টেকনিকই তার সাফল্যের কারণ। ব্রিসবেনের মি. করোনেস ছোট বেলা থেকেই সাঁতারে আগ্রহী ছিলেন - কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি সাঁতরানো ছেড়ে দেন। কিন্তু ৮০ বছর বয়েসে আবার তিনি সাঁতার শুরু করেন। আন্তর্জাতিক সুইমিং ফেডারেশন এখন একে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। আরো পড়তে পারেন: যৌন নির্যাতন: অভিযোগ করলেই বালক দুষ্ট হয়? মডেলের শিশুকে স্তন্যদানের ছবি নিয়ে ভারতে বিতর্ক গবেষণা: দু'ধরণের নয়, ডায়াবেটিস আসলে পাঁচ ধরণের সীমান্তের জিরো লাইনে 'গুলি হয়নি', বলছে মিয়ানমার হঠাৎ বেশি রেগে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে?
অস্ট্রেলিয়ার একজন ৯৯ বছর বয়স্ক সাঁতারু জর্জ করোনেস তার বয়সের বিভাগে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে এক নতুন বিশ্বরেকর্ড করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এই স্পেস স্টেশনেই নভোচারীরা দিনের পর দিন থেকে গবেষণা করেন কিন্তু মার্কিন নভোচারী স্কট কেলিকে ঠিক এই কাজটি করতে হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে তাকে একটানা ৩৪০দিন থাকতে হয়েছে। সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন স্কট কেলি মাঝে মাঝেই স্পেস স্টেশনটি মেরামত করতে হয় বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, ''আমি একজন নভোচারী। আমরা মহাশূন্যে যাই। হয়তো একদিন আমরা মঙ্গলে যাবো। তখন হয়তো সেখানে আমাদের লম্বা সময় ধরে থাকতে হবে। তাই আমরা মহাশূন্যে থেকে বোঝার চেষ্টা করি, সেখানে লম্বা সময় থাকতে কেমন লাগবে? আর এজন্য একটি স্পেস স্টেশন হচ্ছে আদর্শ জায়গা।'' কিন্তু মহাশূন্যে থাকাটা ছুটি কাটানোর মতো কোন ব্যাপার নয়। সেখানে তাদের অনেক কাজ করতে হয়। তিনি বলছেন, ''ভোর ছয়টার সময় আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হয়। সেখানে আমাদের কাজকর্মকে তিনটা ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এরপর আছে স্টেশনের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার মেরামত করা বা ঠিকঠাক রাখা। এর বাইরে আমাদের প্রতিদিন অনেক ব্যায়ামও করতে হয়।'' মহাকাশযানের জানালা দিয়ে পৃথিবীর ছবি স্কট কেলি নিজেকে বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেন না মি. কেলি। তিনি বরং নিজেকে বিজ্ঞানের একটি বিষয় বলে মনে করেন। ''আমাকে হয়তো বিজ্ঞানের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার চালক বলা যেতে পারে।'' তিনি বলছিলেন। মহাকাশযানের দীর্ঘ সময়ে মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখেন স্কট কেলি স্কট কেলি বলেন, ''যখন অনেক দিন চলে যায়, তখন আমরা স্পেস স্টেশনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি। বিশেষ করে যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে, সেগুলো নজরদারি করি।'' ''মাঝে মাঝে আমরা পৃথিবীকে দেখি। বেগুনি নীলের মাঝে পৃথিবীকে দেখতে খুব ভালো লাগে। তখন আমাদের নিজেদের খুব ভাগ্যবান মনে হয়, যে এই সুন্দর স্থানটি আমাদের ঠিকানা। কিন্তু একই সময় পৃথিবীর অনেক জায়গা দূষণে আক্রান্ত বলেও দেখতে পাই। এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, পৃথিবী কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে।'' আরো পড়তে পারেন: শেষ মোগল সম্রাটের কবর যেভাবে পাওয়া যায় ইয়াঙ্গনে সৌদি আরবের এতো ঘটনার নেপথ্যে কী? বন্দীদশা থেকে যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন জিয়া রাতের ক্ষতের তুলনায় দিনের ক্ষত তাড়াতাড়ি সারে
চমৎকার দৃশ্য দেখার সুযোগ থাকলেও, বাড়ি এক বছর দূরে গিয়ে, মহাশূন্যের আন্তর্জাতিক একটি স্টেশনে গিয়ে থাকাটা ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ নাও হতে পারে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সিংহের গড় আয়ু ১৩ বছর। মানুষের কাছে ক্যারিশম্যাটিক প্রাণী হিসেবে পরিচিত এই সিংহ যা অত্যন্ত তেজস্বী, ক্ষিপ্র এবং অসাধারণ সুন্দর। একারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনে অহরহই এই প্রাণীটির ব্যবহার চোখে পড়ে। এখানে সিংহ সম্পর্কে ৯টি তথ্য তুলে ধরা হলো: ১. সিংহের গর্জন পাঁচ মাইল দূর থেকেও শোনা যায় বিড়াল প্রজাতির যত প্রাণী আছে তার মধ্যে সিংহের গর্জনই সবচেয়ে বেশি জোরালো। এই গর্জন এতোই তীব্র যে এটি ১১৪ ডেসিবল হতে পারে এবং শোনা যেতে পারে পাঁচ মাইল দূর থেকেও। সিংহের গর্জন এতো তীব্র হওয়ার পেছনে কারণ এই প্রাণীটির স্বরযন্ত্রের আকার। বেশিরভাগ প্রাণীর ভোকাল কর্ড সাধারণত ত্রিভুজাকৃতির। কিন্তু সিংহের ভোকাল কর্ড চতুর্ভুজ আকারের। এছাড়াও এটি চেপটা। একারণে তারা বাতাসের উপর খুব সহজেই অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এর অর্থ হলো অল্প চেষ্টাতেই শক্তিশালী গর্জন। কেশর থেকে সিংহের বয়স বোঝা যায়। ২. পুরুষ সিংহ দিনে ৪০ কেজির বেশি মাংস খেতে পারে বন্যপ্রাণীর ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেঁচে থাকতে হলে একটি নারী সিংহের দিনে গড়ে পাঁচ কেজি এবং পুরুষ সিংহের সাত কেজি মাংসের দরকার হয়। গবেষণায় আরো দেখা গেছে একদিনে এই প্রাণীটি যত মাংস ভক্ষণ করে তার পরিমাণ আট থেকে নয় কেজি। তবে তারা এর চেয়েও অনেক বেশি মাংস খেতে পারে। দেখা গেছে একটি সিংহী এক দিনে ২৫ কেজি এবং একটি সিংহ এক বসাতেই ৪০ কেজিরও বেশি মাংস খেতে পারে। ৩. ঘণ্টায় ৫০ মাইল গতিতে দৌড়াতে পারে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম প্রাণী এই সিংহ যা কিনা ঘণ্টায় ৫০ মাইল গতিতে দৌড়াতে পারে। সিংহীর (বেশিরভাগ শিকার এই প্রাণীটিই করে থাকে) হৃৎপিণ্ডের ওজন তার দেহের ওজনের তুলনায় মাত্র শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফলে তার মানসিক শক্তি বা স্ট্যামিনা এখানে মূল বিষয় নয়। বরং এই দ্রুত গতির কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র স্বল্প দূরত্বের জন্য। আর একারণে কোন শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে তাকে খুব কাছ থেকে আক্রমণ শুরু করতে হয়। ৪. কেশর থেকে জানা যায় বয়স পুরুষ সিংহ চেনার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হচ্ছে এর কেশর। এর রঙ যত গাঢ় প্রাণীটির বয়সও ততই বেশি। এ থেকে আরো বোঝা যায় যে পুরুষ সিংহ থেকে প্রচুর টেস্টোসটেরন হরমোন নির্গত হয়। ফলে এর শক্তিও হয় বেশি। একারণে কালো কেশরের পুরুষ সিংহ প্রচুর সংখ্যক নারী সিংহকে আকৃষ্ট করতে পারে। আরো পড়তে পারেন: বন্যা থেকে বাঁচতে বাড়িতে ঢুকে বিছানায় ঘুম বাঘিনীর গোপনে যেভাবে চলে হরিণের মাংসের ব্যবসা ৪০ বছরে বন্যপ্রাণী কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ বলা হয় খাঁচার সিংহ বাঁচে বেশি দিন। ৫. একমাত্র বিড়াল যার লেজের প্রান্তে পশমের গোছা বিড়াল প্রজাতির যত প্রাণী আছে তার মধ্যে সিংহ-ই একমাত্র প্রাণী যার লেজের একেবারে শেষ প্রান্তে পশমের গোছা আছে। অন্যান্য প্রাণীর সাথে এটি যোগাযোগের একটি হাতিয়ার। তার পালে আরো যেসব সদস্য থাকে এই গোছার মাধ্যমে সে তাদেরকে বার্তা দিয়ে থাকে। লেজের এই গোছার মাধ্যমে সে অন্যান্যদের দিক নির্দেশনা দেয়, আদেশ দেয় এবং তার ভালোবাসার কথাও প্রকাশ করে থাকে। ৬. সবচেয়ে বৃদ্ধ সিংহের বয়স ২৯ বছর সিংহের গড় আয়ু ১৩ বছর। কিন্তু যদি তারা কোন খাঁচায় থাকে, যখন বেঁচে থাকার জন্যে তাদেরকে শক্তি ও শিকারের ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে হয় না, তখন তারা এরচেয়েও বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বয়সী সিংহের কথা রেকর্ড করা হয়েছে তার বয়স ছিল ২৯ বছর। ৭. রাতের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চাইতে ৬ গুণ বেশি দিনের বেলায় একটি সিংহের যে দৃষ্টিশক্তি তার সাথে মানুষের দৃষ্টিশক্তির খুব বেশি পার্থক্য নেই। সিংহের রেটিনায় কম 'কোন সেল' থাকার কারণে তারা কম রঙ দেখতে পায়। কিন্তু রাতের বেলায় এই প্রাণীটির দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি বদলে যায়। সিংহের চোখে আছে প্রচুর ফটো-রিসেপ্টর সেল - যা চোখে আলো প্রবেশ করা মাত্রই সেটা গ্রহণ করে। তারপর রেটিনার পেছনে যে রিফ্লেকটিভ মেমব্রেন আছে সেখানে ওই আলো প্রতিফলিত হয়ে গিয়ে পড়ে আলো-সংবেদনশীল কোষে। সিংহের চোখে আছে শাদা স্ট্রিপ যা থেকে চোখের মণিতে যতো বেশি সম্ভব আলো প্রতিফলিত হয়। এসব কিছুর অর্থ হলো : দেখার জন্যে মানুষের চোখে যত আলোর প্রয়োজন হয় তার ছ'ভাগের এক ভাগ আলোতেই সিংহ দেখতে পায়। এক মাইল দূর থেকেও শিকারের শব্দ পায় এই প্রাণীটি। ৮. এক মাইল দূর থেকেও শিকারের আওয়াজ শুনতে পায় সিংহের শ্রবণশক্তি অত্যন্ত তীব্র। এর কান এমনভাবে তৈরি যাতে যেদিক থেকে শব্দ আসে সেদিকে তার কান ঘুরিয়ে দিতে পারে। তার এই স্পর্শকাতর শ্রবণশক্তি কারণে সহজেই যে শিকারকে শনাক্ত করতে পারে। এমনকি ঘন ঝোপের পেছনেও যখন কোন প্রাণী নিজেকে আড়াল করে রাখে, কিম্বা এক মাইল দূরেও থাকে, সিংহ ঠিকই বুঝতে পারে তার খাদ্যটি এখন কোথায় আছে। ৯. সারা বিশ্বে আছে ২০,০০০ সিংহ আফ্রিকায় সিংহের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমছে। বলা হচ্ছে, গত তিন প্রজন্মে এই প্রাণীটির সংখ্যা সেখানে ৪০% হ্রাস পেয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে সিংহের বসতি ধ্বংস করা, খাবার কমে যাওয়া। সিংহ শিকারও একটি বড় কারণ। তবে অনুমান করা হয় যে ২০,০০০ থেকে ৩৯,০০০ সিংহ এখনও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আরো পড়তে পারেন: ইসরায়েলে হাজার বছরের পুরনো মসজিদ গণপিটুনি রোধে ধীরে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার? ঢাবিতে কেন সাত কলেজ চায় না শিক্ষার্থীরা? ছুটির দিনে চিতার সাথে সময় কাটায় যে কিশোরী
সিংহকে বলা হয় রাজকীয় বন্যপ্রাণী অর্থাৎ বনের রাজা। কিন্তু এই প্রাণীটিই এখন বিপন্ন প্রজাতির তালিকায়। এর দুটো প্রজাতি এখনও টিকে আছে- আফ্রিকান সিংহ ও এশীয় সিংহ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকার একটি পেট্রোল পাম্প হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার এ নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি জানান, বিআরটিএর পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছিলো যে, দেশে প্রায় পাঁচ লাখ যানবাহনের যথাযথ লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট নবায়ন নেই। এ প্রেক্ষাপটে আদালত তাদের দু মাস সময় দিয়েছিলো। ওই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিআরটিএ বুধবার আদালতে জানিয়েছে যে, এর মধ্য মাত্র ৮৯২৬৯টি যানবাহন ফিটনেস সার্টিফিকেট নবায়ন করেছে। মিস্টার মানিক বলেন আদালত লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া তেল ও গ্যাস না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। "পাম্প পরিচালনাকারী এটি নিশ্চিত করবে এবং পুলিশ এটি মনিটর করবে যাতে সার্টিফিকেট প্রদর্শন ছাড়া কেউ তেল গ্যাস না নিতে পারে। তাদের জন্য জ্বালানী বন্ধ থাকবে," বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সড়কে শৃঙ্খলা: সমাধান সূত্র আছে যেখানে ছবিতে বাংলার বাহন কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? অন্য দেশের তুলনায় কতটা নিরাপদ ঢাকার সড়ক? কয়েক লাখ যানবাহনের ফিটনেস নেই তিনি বলেন যারা এখনো নবায়ন করেনি তাদের আগামী দু মাসের মধ্যে নবায়ন করতে হবে এবং আগামী ১০ই জানুয়ারি বিষয়টি আবার আদালতে উঠবে। এর আগে গত ২৪শে জুন ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স নবায়ন না করা গাড়ি ও চালকের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলো আদালত। একই সঙ্গে যাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছিলো। এ প্রেক্ষাপটে বিআরটিএ ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন চালকের তথ্য উপস্থাপনের পর তাদের এগুলো নবায়নের জন্য দু মাস সময় দিয়েছিলো আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলছেন সে সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের কাছে এখন থেকে আর তেল গ্যাস বিক্রি করতে পারবেনা পাম্পগুলো।
বাংলাদেশে যেসব যানবাহন লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়ন করবেনা, পাম্পগুলোকে তাদের তেল-গ্যাস না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্ব বহু প্রশ্নের সম্মুখীন। দলের ভেতরে সমন্বয়ের অভাব, ক্যাপ্টেনের অমনোযোগিতা, খেলোয়াড়দের মানসিক চাপ সহ্য করার শক্তির অভাব, দীর্ঘদিন ধরে হেড কোচের অনুপস্থিতি এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের নানা ধরনের বক্তব্যকে দলের এই বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশী মন্তব্য পোস্ট হয়েছে সাকিব আল হাসানের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেন, এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই খেলার ব্যাপারে তার আগ্রহ কমে গেছে বলে মনে করছেন বেশ ক'জন ক্রিকেট অনুরাগী। মো. সাফায়েত হোসেন নামে একজন বলছেন, "সবার মাথায় নির্বাচনের মনোনয়ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তার ওপর আবার রশীদের বলের ঘুরপাক। সব মিলিয়ে ম্যাসাকার অবস্থা।" একজন ফেসবুকার সাব্বির আহমেদ ও সৌম্য সরকারকে মেয়াদবিহীন যানবাহনের সাথে তুলনা করে বলেছেন, এরা দুজনেই এখন দলের জন্য বোঝা হয়ে গিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: আসিফ-শফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল যেভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে খেলা বাতিল করলো আর্জেন্টিনা সংকটের মধ্যে নগদ অর্থ ও গরু বাঁচিয়েছে কাতারকে তানজিল আহমেদ নামে একজন ফেসবুকার মন্তব্য করেছেন: "সিরিজ শুরুর আগেই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন এই সিরিজে আফগানিস্তান ফেভারিট! আর সেটা প্রমাণও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। তার মানে হচ্ছে সিরিজ যে হারবে সেটা আমাদের অধিনায়ক জানতেন!" আহমেদ কাউসার নামে একজন ফেসবুকার বলছেন, হার্ড হিটিং-এ দুর্বলতা বাংলাদেশ এর সব সময়ই ছিল। এটা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। "ওদের যে কোনও ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসে ৩০০ স্ট্রাইক রেটে খেলার এবিলিটি আছে।আমাদের সেটা নেই, বলছেন তিনি, "মোট কথা ক্লিন হিটারের অভাব আমাদের ভোগাচ্ছে। রশীদ খানের বিপক্ষে কোনও ব্যাটসম্যানই স্বাভাবিক খেলাটা খেলছে না। বলের মেরিট অনুযায়ী একদম খেলা হচ্ছে না। আর আমার মনে হয় না সাকিব দলকে যথেষ্ট চিয়ারআপ করতে পেরেছেন।" অনেকেই বলছেন, খেলাটা যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে না। খেলা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। অন্য দেশে কেউ যদি খারাপ খেলে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। দলের বাইরে থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো খেলার প্রমাণ না দিতে পারে ততোক্ষণ পর্যন্ত সে দলে আসতে পারে না। জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, "বিসিবিতে যারা আছে সবাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। খেলা নিয়ে ভাবার সময় তাদের নাই। আগে আকরাম খান কিছু বিষয়ে বলতেন। এখন তিনিও কিছু বলেন না। বাংলাদেশ দলে হাথুরু এবং মাশরাফির মতো লোক যতদিন মূল দায়িত্ব পালন করতে না পারবে ততদিন কোন উন্নতি হবে না।" তবে মো. আহসান হাবিব নামে একজন ফেসবুকার মন্তব্য করেছেন, এই সিরিজে আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ফেভারিট ছিল। তাই তারা তাদের যোগ্য সম্মান পেয়েছে। "এতে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখা কিংবা আফগানিস্তানকে এলিয়েন ভাবার কিছুই নাই। এভাবেই তো একটি ছোট দল বড় হওয়ার সুযোগ পাবে যা বাংলাদেশ এর আগে পেয়েছে।" বাংলাদেশের পারফর্মেন্স নিয়ে কিছু মন্তব্য।
পর পর দুটি ম্যাচ হেরে আফগানিস্তানের কাছে প্রথমবার সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং - এই তিন বিভাগেই আফগানদের চেয়ে কেন পিছিয়ে পড়েছে টাইগাররা। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় অনেকেই নানা রকম মন্তব্য করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে চলছে বহু গবেষণা। ফাইজার ও বায়োএনটেক বলছে, "বিজ্ঞান ও মানবতার জন্যে এটি অনেক বড় একটি দিন।" এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি। কোম্পানি দুটো বলছে, এ মাসের শেষ নাগাদ জরুরি প্রয়োজনে তারা এই টিকা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি টিকার ব্যবহারকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল। এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়। আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরো একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়। তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে একজন রোগীকে করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে সর্বশেষ: আশার আলো কতটা? বাংলাদেশে সরকারিভাবে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন যারা করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে সর্বশেষ: আশার আলো কতটা? ফাইজার বলছে, তারা আশা করছে এবছরের শেষ নাগাদ তার পাঁচ কোটি টিকা সরবরাহ করতে পারবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ তারা তৈরি করতে পারবে ১৩০ কোটি টিকা। তবে এই টিকাটি সংরক্ষণের জন্য বড় ধরনের একটি সমস্যা আছে আর সেটি হলো এটি মায়নাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ফাইজারের চেয়ারম্যান ড. আলবার্ট বোরলা বলেছেন, এটি একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। আমরা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এই টিকা পৌঁছে দেয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সঙ্কটের সমাধানের জন্য করোনাভাইরাসের টিকাটি খুব প্রয়োজন।" বায়োএনটেকের একজন প্রতিষ্ঠাতা উগর সাহিন এই টিকা পরীক্ষার ফলাফলকে "মাইলফলক" ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। মনে রাখতে হবে এই টিকার বিষয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত বিশ্লেষণ নয়। এনিয়ে গবেষণা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই খবরে ইউরোপের শেয়ার বাজার এবং ফাইজারের শেয়ার দরে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লন্ডন এবং ফ্রাঙ্কফুর্টের শেয়ার বাজারে পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে। প্যারিসের শেয়ার বাজার উঠে গেছে সাত শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেন, তার ভাষায়, যে মেধাবী নারী-পুরুষরা এই টিকা উদ্ভাবনে সাহায্য করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে কাজ করছে এমন দুটো কোম্পানি বলছে, এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে লোকজনকে রক্ষা করতে তাদের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাচ্ছেন বাদশাহ সালমান বদলে মি. চার্চিল পেয়েছিলেন হীরার আঙটি, মনি-মুক্তো বসানো তরবারি আর পোশাক। লজ্জা পেয়ে দেশে ফিরে তিনি সৌদি বাদশার জন্য একটি রোলস রয়েস গাড়ি পাঠিয়েছিলেন। বিদেশ থেকে আসা রাষ্ট্রীয় অতিথিদের দামী উপহার দেওয়া সৌদি রাজপরিবারের বহুদিনের ঐতিহ্য। এ বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন, তাকেও বহু দামি উপহার সামগ্রী দিয়েছিলেন বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমান। মার্কিন পত্রিকা ডেইলি বিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অধিকার আইনের সূত্র ধরে পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে সেই উপহারের তালিকা বের করেছে। তাতে দেখা গেছে তার সফরে মোট ৮৩টি উপহার পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উপহারের তালিকায় রয়েছে চিতাবাঘের চামড়ার লাইনিং দেওয়া এবং সোনার নকশা করা ঐতিহ্যবাহী সৌদি আলখাল্লা, বেশ কতগুলো মণিমুক্তা খচিত তরবারি, ব্যাগ, জুতো, সুগন্ধি, দামি কিছু পেইন্টিং। অ্যারাবিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলি শিহাবি অবশ্য বলছেন, এসব উপহারকে খুব বেশি দামি বলা যাবেনা। "আগে উপসাগরীয় অঞ্চলের শাসকরা বিদেশী অতিথিদের খুব দামি সব উপহার দিতেন... এখন সাধারণত ঐতিহ্যবাহী উপহার-সামগ্রী দেয়া হয়।" ৩৯০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার মার্কিন কর্মকর্তারা রাখতে পারেন না। মি ট্রাম্প কি উপহারগুলো রাখতে পারবেন? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে খুব সহসা চিতাবাঘের লাইনিং দেওয়া ঐ আলখাল্লা পরতে পারবেন বা সৌদি পেইন্টিংগুলো তার ঘরে ঝোলাতে পারবেন সে সম্ভাবনা কম। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ সফরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এমন কোন উপহার গ্রহণ করতে পারবেনা যার দাম ৩৯০ ডলারের বেশি। আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের পাওয়া দামি উপহার হয় যাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে অথবা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয় তারা চাইলে ঐ উপহার বাজারের দামে কিনে নিতে পারেন। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি ২০১২ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে কালো মুক্তার মালা উপহার দিয়েছিলেন। সেটি পরে ৯৭০ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন মিসেস ক্লিনটন। বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে উপহার পাওয়া চিতার চামড়ার আলখাল্লা বা মনি-মুক্তায় মোড়া তরবারিগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প কিনে নেবেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যখন ১৯৪৫ সালে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন, তিনি বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সউদের জন্য উপহার হিসাবে ১০০ পাউন্ড মূল্যের সুগন্ধি নিয়ে গিয়েছিলেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার সম্পর্কের সম্প্রতি আরো অবনতি হয়েছে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র দেশ দুইটির মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সেই সম্পর্ক আরো খারাপ করে তুলেছে। পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করা যাক: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে এতো উত্তেজনা কেন? এজন্য ফিরে যেতে হবে তথাকথিত স্নায়ুযুদ্ধের (১৯৪৫-১৯৮৯)সময়কালে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন কখনো যুদ্ধে জড়ায়নি, তবে ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পরেও তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়ে গেছে। বর্তমানে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবার রাশিয়াকে সেই ক্ষমতায় নিয়ে যেতে চান। কখনো কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানও নিচ্ছে দেশটি। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার পর সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে। তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই দুই নেতার বৈঠক কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এই দুই নেতার সম্পর্কের বিষয়টি বিশ্বে সবার নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যদিও ওই হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে মস্কো। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, মি. ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া ওই নির্বাচন প্রভাবিত করেছে। নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল কিনা এবং মি. ট্রাম্পের শিবির তাতে কোন সহায়তা করেছে কিনা, সেটি নিয়ে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, নির্বাচনে হারার কারণে এটি ডেমোক্রেটদের একটি ষড়যন্ত্র। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রচলিত রিপাবলিকান নীতির অনেকটা প্রতিকূলে দাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। গত সপ্তাহেই তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট, জি সেভেন গ্রুপে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সমর্থন দেন। ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করার পর ওই গ্রুপে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে এত ঝামেলা বেধেছে কেন? ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে সবাই কী জানতে চায় যেদিন প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন এর আগে বিভিন্ন সম্মেলনে সাইড লাইন বৈঠকে অংশ নিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প তারা একে অপরের বিষয়ে কি করছেন? ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে তিনি বলেছেন, 'তিনি খুব ভালো নেতা।' গত বছর তিনি মি. পুতিনকে বলেছেন 'টাফ কুকি।' গত মার্চে রাশিয়ার বিতর্কিত নির্বাচনে মি. পুতিনের জয়ে মি. ট্রাম্প অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, যদিও তার উপদেষ্টারা তা না করার জন্যই পরামর্শ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'খুবই উজ্জ্বল একজন ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমান এবং বহুমাত্রিক বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তারা কি নিয়ে আলোচনা করবেন? দুই নেতার আলোচনার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, রাশিয়ার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেন আর সিরিয়ার যুদ্ধের বিষয়। ট্রাম্পের মিত্ররা কি নিয়ে উদ্বিগ্ন? গত সপ্তাহেই নেটো দেশগুলোর সঙ্গে একটি সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি যৌথ বিবৃতিতে সাক্ষর করেন। এখন কি তিনি সেই উদ্বেগের কথা মি. পুতিনকে সরাসরি জানাবেন? ইউরোপীয় মিত্ররা বলছেন, তাদের জানানো হয়নি যে হেলসিংকি বৈঠক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে কি অর্জন করতে চাইছেন। আসলে কি আশা করা যেতে পারে? এটা বলা আসলেই কঠিন। এই বৈঠকের ব্যাপারে আগাম ভবিষ্যৎ বাণী করা সম্ভব নয়, তবে মার্কিন উপদেষ্টারা আভাস দিয়েছেন, এখান থেকে বড় কোন ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। আরো রহস্য তৈরি হয়েছে যে, দুই নেতা একবার একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন, যেখানে শুধুমাত্র তাদের অনুবাদকরা উপস্থিত থাকবে। তবে অনুমান করা যেতে পারে, দুই দেশ হয়তো আবার আগের মতো কূটনৈতিক উপস্থিতি গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হতে পারেন। যুক্তরাজ্যে সাবেক রাশিয়ান গুপ্তচরের ওপর নার্ভ গ্যাস হামলার ঘটনার পর থেকে সম্প্রতি তাদের মধ্যে কূটনীতিক বহিষ্কারের 'ইটের বদলে পাটকেল' নীতি চলছিল। বাকি বিশ্বের জন্য এটি কি অর্থ বহন করছে? অনেক অর্থই বহন করছে। সিরিয়া, ইউক্রেন, ক্রাইমিয়াসহ বিশ্বের অনেক জটিল বিষয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া-যার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বেই। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ সারা বিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর বলে মি. পুতিন বর্ণনা করেছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষ ভাবে এই বৈঠকের ওপর নজর রাখবে। রাশিয়ার হুমকির কারণে তারা কিছুটা অস্বত্বি মধ্যে রয়েছে, আবার অনেক দেশ তাদের জ্বালানির জন্য রাশিয়ারও ওপরও নির্ভরশীল। মধ্য আর পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের যে বিতর্কিত নর্ড স্ট্রিম-২ নামের প্রকল্প নিয়েছে জার্মানি, তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই রুটে ইউক্রেন, পোল্যান্ড বা বাল্টিক দেশগুলো থাকবে না। ফলে এসব দেশও এই বৈঠকের দিকে নজর রাখবে। সুতরাং সবমিলিয়ে সারা বিশ্বেরই নজর থাকবে, সোমবারের এই বৈঠকে আসলে কি হতে যাচ্ছে।
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে একটি বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু এই সামিটের দিকে কেন সবার নজর?
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গণভবনে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফন্টের নেতারা (ফাইল ছবি) নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকীসহ কয়েকজন নেতা অংশগ্রহণ করেন আলোচনায়। নির্বাচন অন্তত তিন সপ্তাহ পেছানো সহ আরো কিছু দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতা। কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান নির্বাচন পেছানো বাদেও বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সাথে আলোচনা হয়েছে তাদের। নির্বাচনে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের পুরোপুরি বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল ঐক্যফ্রন্টের। তবে নির্বাচন কমিশন সিটি কর্পোরেশনগুলোতে সীমিত সংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে চিন্তা করছে বলে জানান মি. আলমগীর। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে নিয়োগ পাওয়া প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ঐক্যফ্রন্ট। মি. আলমগীর জানান যে পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা যেন উপস্থিত থাকেন সেই দাবি জানানো হয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। মি. আলমগীর বলেন পর্যবেক্ষকদের আনাগোনায় বাধাদান করা হবে না বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এছাড়া বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানি যেন বন্ধ করা হয় সেবিষয়েও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বৈঠকে। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়, নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকদের যেন বাধাদান করা না হয়। নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে কোনোরকম বাধাদান করবে না বলে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন মি. আলমগীর। তবে কোনো নির্বাচনী কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে সরাসরি খবর সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানান তিনি। মি. আলমগীর বলেন, "আমাদের এই নির্বাচনে টিকে থাকা নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের আচরণের ওপর এবং তারা কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, তার উপর।" আরো পড়ুন: পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঐক্যফ্রন্টের নতুন রূপরেখায় কী আছে? সংসদ নির্বাচনের তারিখ কেন পেছাতে চায় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল আসলে কী? আওয়ামী লীগ থেকে ড. কামাল যেভাবে বেরিয়ে আসেন নির্বাচন: কীভাবে দলগুলো প্রার্থী বাছাই করে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আবারো পেছানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক করার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এ বিষয়ে আরো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সরকারের উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তার কারণে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়লেও ঝরে পড়া কমছে না। সারা বছর পড়ানোর পরও শিক্ষার্থীদের এমন ঝরে পরা নিয়ে হতাশ স্কুলটির একজন শিক্ষক তাসকিন জাহান। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "ধরেন স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছে ১০০ জন। কিন্তু পরীক্ষা দিতে যায় ৭০ জনের মতো। মানে থার্টি পারসেন্ট স্টুডেন্ট বাদ পড়ে যাচ্ছে। সেটা আমাদের টিচারদের জন্যও মানসিক চাপ। কারণ আমরা চাই আমাদের প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট পরীক্ষার হলে বসুক।" বাংলাদেশের সবশেষ মাধ্যমিক শিক্ষাবর্ষের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার বিষয়টি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের অপচয় এবং যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে নবম শ্রেণীতে ২০ লাখ ৭৪ হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিল। কথা ছিল তারা সবাই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে এবার পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে ১৬ লাখ ৮২ হাজার শিক্ষার্থী। অর্থাৎ প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী বা প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন ঝরে পড়েছে। আরও পড়তে পারেন: প্রাথমিক শিক্ষা: ৬৫% শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারেনা স্কুল শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের টাকা কীভাবে দেয়া হবে শিক্ষা ব্যবস্থায় কোচিং নির্ভরতা কেন এ পর্যায়ে পৌঁছেছে? গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর এই ঝরে পড়ার হারকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় বলে উল্লেখ করে সরকারকে দ্রুত নজর দেয়ার কথা বলেছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, "সরকারি তথ্য থেকেই বেরিয়ে আসছে যে, মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার লাগাম টানা যাচ্ছে না। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সরকার শিক্ষার পেছনে যথেষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ করছে। তারপরও পাঁচজনের মধ্যে একজন ঝরে যাওয়া আমাদের জাতীয় পর্যায়ে বিনিয়োগের একটা বড় অপচয়। যা অবশ্যই উদ্বেগের।" ঝরে পড়ার কারণ কী মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে সরকার বৃত্তি, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই ও খাবার সরবরাহসহ আরও নানা খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করা করলেও শিক্ষার্থীদের এই ঝরে পড়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ঝরে পড়ার অন্যান্য কারণগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান তিনি মিসেস চৌধুরী। "বেসরকারিভাবে এই ঝরে পড়া নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় বা সরকারি পর্যায়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। তখন প্রকৃত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা যাবে আর সেই মোতাবেক প্রতিকারের উপায় বের করা সহজ হবে।" বলেন মিসেস চৌধুরী। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এসএসসি পরীক্ষা ও ঢাকা সিটি নির্বাচন পেছালো পাঁচ মাস পরে কাশ্মীরে পুনরায় মোবাইল সেবা চালু পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ঘোষণা চীনে ভাইরাসে শত শত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তবে এ পর্যন্ত যেসব তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, সেখানে ঝরে পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ওই শিক্ষার্থীদের পরিবার অবস্থা সম্পন্ন হয় না। তাদের পক্ষে এই শিক্ষার ব্যয় টেনে নেয়া কঠিন হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হলেও মাধ্যমিকের একটি বড় অংশই বেসরকারি। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। যেখানে পড়াশোনার খরচ বেশি। তাছাড়া মাধ্যমিকে বিভিন্ন কোচিং বা প্রাইভেট পড়ার খরচও আছে। সেটা অনেক পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে যায় বলে জানান রাশেদা কে চৌধুরী। ফলে একটা অংশ ঝরে যায়। তখন তারা বিভিন্ন দিকে রুটি রুজির সন্ধানে হারিয়ে যায়। গাজীপুরের কালীগঞ্জের শিক্ষিকাও তার স্কুলে ঝরে পড়ার পেছনে এই উপার্জনের প্রতি ঝোঁক এবং এছাড়া উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহের অভাবকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেন। "আমাদের স্কুলের বাইরে একটা নতুন হোটেল হয়েছে। দেখা যায় যে অনেক স্টুডেন্ট স্কুল বাদ দিয়ে সেখানে কাজ করছে। আবার অনেক ছেলেরা বাড়িতে কৃষিকাজ করে। কারণ এই বয়সী অনেক ছেলেমেয়ের ওপর পরিবারের দায়িত্ব চলে আসে। পড়াশোনার প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ওরা বুঝতে পারে না যে এসএসসি পাস করে তার জীবনে কী এমন পরিবর্তনই বা হবে।" বলেন, মিস জাহান। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ নিরাপত্তাহীনতা, মাধ্যমিকে নারী শিক্ষকের অভাব এবং স্কুলগুলোয় স্যানিটেশনের ব্যবস্থা না থাকা বলে জানান রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, "স্কুলে যাওয়া আসার পথে এমনকি স্কুলের ভেতরে এই বয়সী মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বাবা মা খুব উদ্বিগ্ন থাকে। অনেকে ইভটিজিং, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। তাছাড়া অনেক পরিবার মেয়ের পেছনে এতো খরচ করতে চায় না। তখন তারা মেয়েকে ঘরে বসিয়ে রাখা বা বিয়ে দিয়ে দেয়াকেই সহজ সমাধান বলে মনে করে।" অর্থ উপার্জনের চাপ থাকায় অনেকের পক্ষেই মাধ্যমিকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। পরীক্ষায় অংশ না নেয়া মানে ঝরে পড়া নয় তবে এই চার লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ না নেয়াকে ঝরে পড়া বলতে চাইছেন না মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক। তাঁর মতে, গত এক দশকের তুলনায় মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ঝরে পড়ার এই সংখ্যাকে বেশি বলে মনে হচ্ছে। "এটাকে ঝরে পড়া বলা যাবে না। তারা লেখাপড়ার সাইকেলের মধ্যেই আছে। হয়তো সে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা অসুস্থ ছিল এজন্য এসএসসিতে অংশ নিতে পারেনি। হয়তো তারা আগামী বছর পরীক্ষা দেবে। এটা প্রতিবছরের চিত্র। একে অস্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।" তিনি জানান, এক দশক আগেও যে পরিমাণ শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতো, এখন সেই হার অনেকটাই কমে এসেছে। এবং প্রতিবছরই এই হার কমছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাতারাতি এই ঝরে পড়ার হার শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা রীতিমত অসম্ভব বলে তিনি মনে করেন। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তিতে যুক্ত সাড়ে ৮৮ শতাংশই জেএসসি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী। তাই এই শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে সরকারের বিনিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড একে উদ্বেগের কিছু নেই বলে উল্লেখ করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকার শিক্ষা বিস্তারের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সেটা অধরাই থেকে যাবে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি সরকারি স্কুলেও প্রতিবছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে নিবন্ধন করেন, তার মধ্যে একটি বড় অংশ শেষ পর্যন্ত নানা কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি কার স্বার্থে? ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেতে কিংবা পদ ঠিক রাখতে শিক্ষকরা আরো বেশি করে রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষকদের এভাবে কোন একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী হয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ৩টি দল আছে। সাদা, নীল এবং গোলাপী। এই তিনটি দলই তিন ধরণের রাজনীতির প্রতি অনুগত। সাদা দলের ব্যানারে যেসব শিক্ষক রয়েছেন তারা বিএনপি পন্থী, নীল দল আওয়ামী পন্থী এবং গোলাপী দল বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। বাংলাদেশের বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা এভাবেই বিভিন্ন নামে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে রাজনীতি করে থাকেন। এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও এখন শিক্ষকদের এ ধরণের রাজনীতি নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে ছাত্রলীগের যে আধিপত্যের রাজনীতি এর পেছনে দায় আছে সেখানকার শিক্ষক প্রশাসনেরও। বুয়েটের শিক্ষকরা ইতোমধ্যেই শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দিলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর কোন প্রভাব নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক রাজনীতি কার স্বার্থে সেই প্রশ্ন এখন নতুন করে উঠছে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। তানজিল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলছেন, ছাত্রনেতাদের মতো শিক্ষকরাও প্রশাসনিক পদ-পদবি পাওয়ার জন্যই রাজনীতি করেন বলে তার কাছে মনে হয়। তার মতে, শিক্ষক রাজনীতি শিক্ষার্থীদের আসলে কোন কাজে আসে না। 'স্যারেরা তো এখন শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোন কথা বলেন না, শিক্ষার্থীদের পাশেও থাকেন না।' বাংলাদেশে সাধারনতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। আর শিক্ষক প্রশাসনও নিয়ন্ত্রণে থাকে সরকারি দলের অনুগত শিক্ষকদের হাতে। গত প্রায় তিন দশক ধরেই ঘুরে ফিরে এ চিত্রই দেখা যাচ্ছে। বলা হয়ে থাকে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টরসহ সকল প্রশাসনিক পদ এক ধরণের ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে যায় ক্ষমতাসীন দলের অনুসারী শিক্ষকদের মধ্যে। এমনকি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতেও অনেক ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ই মুখ্য হয়ে ওঠে। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, এখন দলভিত্তিক যে শিক্ষক রাজনীতি সেখানে আদর্শই মুখ্য নয়, বরং লোভের সংস্কৃতিটাই মুখ্য। তিনি বলছিলেন, '৮০'র দশকেও আমরা দেখেছে শিক্ষকদের মধ্যে আদর্শিক ভিন্নতা এবং ব্যবধান ছিলো। কিন্তু সেই রাজনীতি তখন দলীয় রাজনীতি ছিলো না। সেটা ছিলো গণমানুষের কল্যাণে, শিক্ষার কল্যাণে।' 'তারপর যেটি হলো, দেশে গণতান্ত্রিক সরকারগুলো এলো এবং এসেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দখলের চেষ্টা করতে থাকলো। ছাত্রদেরকে প্রথমে দলে নেয়া হলো। ছাত্র সংগঠনগুলো হয়ে গেলো ঐ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের কর্মীদের একটা সম্মিলন। শিক্ষকদেরও সেভাবে নেয়া হলো।' বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান অবনতির কারণ হিসেবে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতিকে দায়ী করা হয়। দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বশেষ যে আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং সেখানে বাংলাদেশের একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান হয়েছে। সেটাও ১ হাজারেরও বাইরে। যে ৫টি ক্যাটাগরিতে টাইমস হায়ার এডুকেশন নামে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং তৈরি করে সেখানে পাঠদান এবং গবেষণা -এই দুইটি ক্যাটাগরিতেই সবেচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাঠদান ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাপ্ত স্কোর ১০০'র মধ্যে ১৬ আর গবেষণায় ৮.৮। অথচ পাঠদান ও গবেষণা এই দুটি অনেকাংশেই শিক্ষক নির্ভর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও মান নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তার পেছনে শিক্ষক রাজনীতির একটা দায় আছে। তিনি বলছেন, 'শিক্ষকদের মৌলিক কাজ দুটি। পড়ানো এবং গবেষণা। এখন পড়াতে হলে তো আগে পড়তে হবে। শিক্ষকরা যদি অধ্যয়নের সময়টুকু রাজনীতির পেছনে ব্যয় করেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন, কোথায় গেলে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে পারবেন সেসবের জন্য তদবিরে ব্যস্ত থাকেন তখন স্বভাবত:ই তো প্রশ্ন আসে যে, তিনি পড়বেন কখন আর গবেষণাই বা করবেন কখন?' তবে শুধু যে শিক্ষা এবং শিক্ষকের মানের কারণেই শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তা নয়। বরং সাম্প্রতিককালে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা কারণেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশাসন বিতর্কের মুখে পড়েছে। অন্যদিকে শিক্ষকদের সমিতিগুলো থেকেও অন্যায়ের প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, রাজনৈতিক বিবেচনা বাদ দিয়ে শিক্ষকদের যেভাবে ন্যায়ের কথা বলা দরকার ছিলো সেটা নেই। তিনি বলছেন, 'আমাদের এখানে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে সেগুলো যদি শিক্ষকরা সংঘবদ্ধভাবে দেখিয়ে দেন, যদি ছাত্রদের নিয়ে তারা সমাজের নানা অনাচার প্রতিহত করেন, শিক্ষানীতি নিয়ে নয়ছয় হচ্ছে, এতোগুলো পরীক্ষা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তার তো কোন প্রতিবাদ দেখি না। সেখানে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখার আছে। সেগুলো না করে যদি আমরা টেন্ডার ভাগাভাগিতে লিপ্ত হই আর আর ছাত্রলীগ-ছাত্রদল যদি আমাদের আর্দশ হয়, সেটা তো উচিত না। দেখা যাচ্ছে এখন ছাত্র নেতারাই শিক্ষকদের পরিচালিত করছে।' কিন্তু শিক্ষক সংগঠনগুলো কেন দলীয় রাজনীতির বাইরে আসতে পারছে না এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি'র সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল অবশ্য বলছেন, কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ ধারণ করা কোন অপরাধ নয়। কোন কোন শিক্ষক হয়তো দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছেন, এরকম শিক্ষকদের কারণেই সবার উপর দোষ আসছে। 'আমরা হয়তো সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করি বা রাখি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই। যখন যে পর্যায়ে পরামর্শ বা প্রতিবাদ করা দরকার, আমরা সেটা করি। অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের চেয়ে শিক্ষক সংগঠনগুলোই বরং প্রয়োজনের সময় প্রতিবাদী ভূমিকায় থাকে।' আরো খবর: নেতাদের পদত্যাগ: কতটা চিন্তায় পড়েছে বিএনপি? তূর্ণা ও উদয়ন ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু হতাহত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ইরান-বিরোধী মুজাহিদিনরা কী করছে ইউরোপে? লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ‘বাংলা বন্ড', টাকায় আগ্রহ কেন
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের দলভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা দীর্ঘদিনের। বলা হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের যে আধিপত্যের রাজনীতি, শিক্ষক প্রশাসন সেখানে এর বিপরীতে অবস্থান না নিয়ে বরং অনেকক্ষেত্রেই সহযোগীর ভূমিকা নিয়ে থাকে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বিএনপি লোগো সরকারি বিভিন্ন হিসাবে বলা হচ্ছে, এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা দুই কোটির মতো। নতুন এই তরুণ ভোটাররা ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই প্রধান দুই দলের টার্গেট হচ্ছেন এই নতুন ভোটাররা। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী খোলাখুলি বলছেন, "তরুণদের সবচেয়ে বেশি ফোকাস করছি আমরা।" "দেশে বিনিয়োগ হচ্ছেনা। কর্মসংস্থানের প্রচণ্ড অভাব। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণরা কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।" মি রিজভী বলেন, তাদের ম্যানিফেস্টো বা নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তি হবে বিএনপি'র ভিশন-২০৩০, যেটি বেশ আগেই প্রকাশ করা হয়েছ। "কীভাবে গণতান্ত্রিক সুশাসন গড়ে তুলবো সে ব্যাপারে আমরা আগেই এই ভিশন-২০৩০ মানুষকে জানিয়েছিলাম। তার আলোকের হবে আমাদের এবারের ইশতেহার।" আরও পড়ুন: আদালতের প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনাস্থা যেভাবে এবারের নির্বাচনে প্রচার চালাবে আওয়ামী লীগ রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে বিএনপি বিএনপি নেতা বলেন, চাইলেও প্রচলিত গণমাধ্যম এবং অনলাইনে তাদের নির্বাচনী বার্তা প্রচারে তারা ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। "অন্য কারো এজেন্ডা যাতে মানুষের কাছে না যেতে পারে, সরকার তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিচ্ছে। যে ৫৪টি পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে, তার অনেকগুলো বিএনপি এবং ঐক্য ফ্রন্টের বক্তব্য প্রচার করছিল, এটা টের পেয়েই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে।" মি রিজভী বলেন, মালিকানা এবং সরকারি হুমকি-ধামকির কারণে সংবাদপত্র এবং বেসরকারি টিভিগুলোও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না বা করতে পারছে না।
বাংলাদেশের বিরোধী বিএনপির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রুহুল কবির রিজভী বিবিসিকে বলেছেন, 'কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত' তরুণদের প্রচারণার প্রধান টার্গেট করা হবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সৌরভ গাঙ্গুলি ও ওয়াসিম আকরাম শুধু বর্তমান ক্রিকেটার নন কিংবদন্তীরাও এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মতামত ও সমর্থনের কথা জানাচ্ছেন। অনেক ক্রিকেটার নিজ নিজ দেশের বাহিনীর প্রশংসা করে লিখেছেন। অনেকে শান্তির বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আরো পড়ুন: ৮০৭ রান, ৪৬ ছক্কা: বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ম্যাচ আর কয়টি আছে? উত্তেজনা-সংঘাতের পর কাশ্মীরের সর্বশেষ যে অবস্থা ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যা হতে পারে ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও পেস বোলার পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা কী বলছেন? ওয়াসিম আকরাম, যিনি ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। যুদ্ধের দামামা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে দুই দেশকে এক হতে বলেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, "ভারত ও পাকিস্তান কেউ কারো শত্রু না, তাদের শত্রু আমাদের শত্রু। কত রক্ত গেলে আমরা বুঝবো যে আমরা একই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছি। এই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমাদের হাত মেলাতে হবে।" পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজও শান্তির আহ্বান জানান। পাক-ভারত ইস্যুতে মোহাম্মদ হাফিজের একটি টুইট তিনি লেখেন, "শান্তি, শান্তি, শান্তি।" পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন, তারা শত্রুপক্ষের প্রতি তাদের আচরণের প্রশংসা করেন। "পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর গর্ব হয়, এভাবেই আমরা শত্রুদের আপ্যায়ন করি। ভারত যুদ্ধ নিয়ে যে হিস্টেরিয়া তৈরি করেছে সেটা বন্ধ হোক। আমরা জাতিগতভাবে শান্তি পছন্দ করি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে যৌথ সংলাপের কথা বলেছেন সেটাই একমাত্র সমাধান," টুইটারে লিখেছেন শহীদ আফ্রিদি। শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে একটি পোস্ট দেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা কী বলছেন? ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে নজর কেড়েছে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলিদের টুইটার পোস্ট। শচীন ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রশংসা করে একটি পোস্ট দেন। সৌরভ গাঙ্গুলীর পোস্ট মূলত শচীন টেন্ডুলকারের সাথে তার সম্পর্ক ঠিক আছে এমন ব্যাখ্যা দিয়ে দেন। এরপর শচীনও একটি বক্তব্য দেন যে দেশের প্রয়োজনে যেটা সেরা সেটাই ভাবেন দুজন। শচীনের সাথে বন্ধুত্ব অটুট আছে, এটা জানিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির টুইট "গণমাধ্যমের অনেক মানুষ আমার বক্তব্যকে শচীনের বিরুদ্ধে নেয়ার চেষ্টা করছে যখন আমি বলেছি 'আমি বিশ্বকাপ চাই' আমার এই কথা শচীনের বক্তব্যের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয় ২৫ বছর ধরেই সে আমার অন্যতম সেরা বন্ধু ছিল আছে থাকবে," লিখেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ। তবে এর আগে পাকিস্তানে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা হামলা চালায় তখন বেশ সোচ্চার ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি লেখেন, "এখনই সময়, আমরা স্থান ঠিক করে ফেলেছি আমরা ভাগ্যও নির্ধারণ করেছি।" এছাড়া হরভজন সিং, মোহাম্মদ কাইফ, শেখর ধাওয়ানরা ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশংসা করে পোস্ট দেন টুইটারে। মোহাম্মদ কাইফ, শেখর ধাওয়ানরা ভারতের বায়ুসেনার প্রশংসা করেন আর ইরফান পাঠান লেখেন, "উইং কমান্ডার আভি নান্দান আমাকে গর্বিত করে, যেভাবে কোনো মব্দ উচ্চারণ না করেই সে যে শক্তি ও দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন। আমি আশা করবো সে নিরাপদে বাড়ি ফিরবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার যে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ভোট গ্রহণ চলছে ইমরান খানের প্রস্তাবে সাড়া দেবেন নরেন্দ্র মোদী?
পুলওয়ামার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত সেখানে নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছেন দুই দেশের ক্রিকেটাররাও।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হল ফেসবুক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সূর্যমুখী ফুলের এক বাগানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান। সেখানে তার শিশুকন্যার কয়েকটি ছবি তুলে নিজের ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি আপলোড করেন। মুহূর্তেই ওই ছবির নীচে অসংখ্য কমেন্ট পড়তে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি মন্তব্য ছিল বেশ খারাপ ইঙ্গিতপূর্ণ। এই কমেন্টগুলোর স্ক্রিনশট শিশুটির ওই ছবির ওপর বসানো একটি পোস্ট ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে আরেক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মেয়ের ছবিতেও এমন আপত্তিকর মন্তব্য দেখা গিয়েছিল। এ ধরণের একের পর এক উদাহরণ দেখে নিজের সন্তানের ছবি এখন পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতেও আতঙ্কে ভোগেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অদিতি পাল। তিনি বলেন, "আমার সন্তানের বয়স এক বছর। খুব ইচ্ছা হয় তার সব মুহূর্তের ছবি আপলোড দিতে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মেয়ের ছবির সাথে যা হয়েছে, সেটা থেকেই শিক্ষা নিলাম। মানুষ অনেক জাজমেন্টাল। কিছু না ভেবেই যাচ্ছেতাই মন্তব্য করে দেয়। বাচ্চা মোটা কেন, শুকনা কেন, কালো কেন? কোন কমনসেন্স নাই। এজন্য শুধু পরিবারের সাথে ছবি শেয়ার করি।" ফেসবুকে প্রতিদিন মানুষ অসংখ্য ছবি ও তথ্য পোস্ট করে থাকে। মানসিক বিকৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি শিশুর ছবিকে ঘিরে মানুষের এ ধরণের মন্তব্য এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত আরেকটি পোস্ট ভাইরাল করার ঘটনাকে অসচেতনতা, মানসিক বিকৃতি এবং কট্টর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম। তার মতে, একজন নারী তিনি যে বয়সেই হন না কেন তাকে সমাজে এখনও যৌনবস্তু হিসেবে বিচার করা হয়। এছাড়া তারকাদের জীবনের প্রতি ঈর্ষাবোধ ও হীনমন্যতা এই অরুচিকর মন্তব্যগুলোয় প্রতিফলিত হয় বলে তিনি মনে করেন। "সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজেই যা ইচ্ছা লেখা যায়। যেটা অন্য কোথাও সম্ভব না। যারা এ ধরণের মন্তব্য করে তারা নারীকে মানুষ হিসেবে দেখে না, নারী যে বয়সের হোক সে ভোগের বস্তু। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি তাদের কোন সম্মানবোধ নেই," বলেন সাদেকা হালিম। শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করে তুলতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আইনে কী আছে বাংলাদেশে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে পৃথক আইন আছে। কিন্তু সেখানে কোথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার বিষয়টি আলাদাভাবে উঠে আসেনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা আছে, কেউ কোন ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক তথ্য প্রকাশ করে যদি কাউকে অপদস্থ করেন তাহলে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে। এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া অনুমতি ছাড়া কারও পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে। শিশুদের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলেও এক্ষেত্রে নিশ্চুপ ভূমিকা এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ না করার কারণে এ ধরণের অপরাধ ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বিশেষজ্ঞরা। সাদেকা হালিম জানান, প্রভাবশালীদের পক্ষে এসব আইন যতোটা শক্তিশালীভাবে কাজ করে এর বাইরে ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে এমন কোন উদাহরণ চোখে পড়ে না বলে এ ধরণের বিকৃত মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আইসিটি অ্যাক্টের ব্যবহার হচ্ছে ক্ষেত্র বিশেষে, সবার জন্য না। যখন মানুষ দেখছে তাদেরকে ঠেকানো কেউ নাই। রাষ্ট্র যদি সবাইকে শাস্তির আওতায় আনত, তাহলে এমনটা ঘটতো না।' তবে এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার আ.ফ.ম. আল কিবরিয়া। তিনি বলছেন, "আপনি যদি ভিকটিম হন, আপনাকেই পুলিশের কাছে আসতে হবে। মামলা করতে হবে। পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে যে করে না তা নয় তবে প্রতিকার আপনাকেই চাইতে হবে। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝুঁকিগুলো কোথায়? বাংলাদেশে কোটি কোটি ফেসবুক আইডি আছে। এরমধ্যে অনেক অপরাধ সংঘটিত হয় ফেইক বা ভুয়া আইডি থেকে হয়। সবটা পুলিশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নজরদারিতে আনা প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন মি. কিবরিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের ছবি বা যেকোনো তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার ওপর সেইসঙ্গে এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে আরও বেশি প্রচারণার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে শিশুদের ছবি ও তথ্য শেয়ার করলে এর বিরূপ প্রভাব শিশুটির বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কী করতে পারেন? সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ জেনিফার আলম বলেছেন, শিশুদের প্রতি বিকৃত রুচি পোষণ করে এমন পিডোফাইল বা শিশুদের যৌন নির্যাতনের ওপর অনেক ওয়েবসাইট আছে, ফোরাম আছে। সেসব স্থানে এসব ছবি, ব্যক্তিগত তথ্যসহ আপলোড হয়ে যেতে পারে। একারণে শিশুদের কোন ছবি পাবলিক গ্রুপ বা পেইজে আপলোড দেয়া থেকেও তিনি বিরত থাকতে বলেছেন। যদি আপলোড করতেই হয় তাহলে প্রাইভেসি সেটিংসটা এমন রাখতে হবে যেন অপরিচিত কেউ এসব ছবি বা তথ্য না পায়। সে ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, তা হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা আপনার বন্ধু, আপনি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে চেনেন কিনা, সেটা জানাও জরুরি। কারণ ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় এমন অনেকেই যুক্ত থাকেন, যাদের সাথে খুব স্বল্প পরিচয় বা একদমই অপরিচিত। যা বিপদের কারণ হতে পারে। এসব প্ল্যাটফর্ম যারা ব্যবহার করেন তারা যে কোনো শ্রেণী পেশার বা মানসিকতার হতে পারেন। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। ফলে ওই শিশুটি হয়রানির শিকার হতে পারে। বড় হওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদে শিশুটি মানসিক চাপে ভুগতে পারে। কারণ ইন্টারনেটে কিছু আপলোড হলে সেটা সরিয়ে ফেলার সক্ষমতা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের থাকলেও অনেক সময় চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। আরও পড়তে পারেন: ফেসবুকে যেভাবে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকজন বিদেশি নিজের ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ রাখবেন যেভাবে ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুকের কাছে কী তথ্য চায় বাংলাদেশ সরকার আবার অনেক বাবা মা তাদের সন্তানের স্কুলের পোশাক পরা ছবি, বা স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড করেন। বর্তমানে যে অনলাইনে স্কুল চলছে সেখানে বাচ্চাদের আইডি প্রোফাইলে আপলোড করতে বলা হচ্ছে। এতে ওই শিশুটার পরিচয় বের করা এবং তার গতিবিধি নজরদারি করা খুব সহজ হয়ে যায়। শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ রাখতে ইন্টারনেটে সেইফ ব্রাউজিং সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন মিস আহমেদ। "গুগলের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, মোবাইলের অ্যাপসগুলোকে সিকিওর করা সম্ভব, এছাড়া বাচ্চাদের ব্যবহারের জন্য ইউটিউব ফর কিডস, মেসেঞ্জার ফর কিডস আছে। সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। এতে বাচ্চার নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব।" তারপরও কোন শিশুর তথ্য বা ছবি নিয়ে অপদস্থ করা হয় বা শিশুর বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা হয় তাহলে তারা থানায় সাধারণ ডায়রি বা মামলা করে বিষয়টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের শিশুকন্যার একটি ছবিতে কিছু মানুষের অসৌজন্যমূলক ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই জয়ী আফগানিস্তান এর ফলে যে একটা অন্যরকম রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল! আর তা হল বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম দল হিসেবে টেস্টে ভিন্ন দশটি দেশের কাছে প্রথম দেখাতেই হারলো বাংলাদেশ। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০০ সালে। সে বছরের ২৬শে জুন আইসিসির দশম দেশ হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। আর দশই নভেম্বর ঢাকায় নিজেদের উদ্বোধনী টেস্টে তারা মুখোমুখি হয় ভারতের। প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দারুণ লড়াই করেছিল। বিশেষ করে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রান নজর কাড়ে ক্রিকেট বিশ্বের। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল তবে ২য় ইনিংসের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ চতুর্থ দিন পার হওয়ার আগেই ম্যাচটি হেরে যায় ৯ উইকেটে। জিম্বাবুয়েতে দ্বিতীয় নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পরের বছর জিম্বাবুয়ে যায় বাংলাদেশ দল। হারারেতে স্বাগতিকদের সাথে প্রথম দেখায় সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ও ৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের ক্রিকেট কি পেছন দিকে হাঁটছে? খেলার মধ্যেই সাকিবকে ফুল দিতে তরুণের কাণ্ড বাংলাদেশের সাথে টেস্টে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল জিম্বাবুয়ে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ একই বছর এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সাদা পোশাকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম দেখায় হারের বৃত্ত পূরণ করে। পঞ্চম দল নিউজিল্যান্ড ২০০১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু ফলাফল ঐ একই। অর্থাৎ প্রথম দেখাতেই হার। নিজেদের মাটিতে কিউইরা সহজে ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই সময়ের কার্স্টেন-স্মিথ-ক্যালিসদের নিয়ে গড়া দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জাভেদ ওমর-হাবিবুল বাশাররা। যথারীতি ইনিংস ব্যবধানে জেতে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। ১৯ বছর ধরে খেললেও এখনো টেস্টে থিতু হতে পারেনি বাংলাদেশ আনলাকি সেভেন বাংলাদেশের সাথে প্রথম দেখায় জয় পাওয়া সাত নম্বর দলের নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আসে ক্যারিবীয়রা। কিন্তু গেইল-চন্দরপলদের দল একটুও ছাড় দেয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংস ও ৩১০ রানের বিশাল জয়েই সিরিজ শুরু করে তাঁরা। আটে অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ার সাথে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের প্রথম দেখা হয় ২০০৩ সালের জুলাইয়ে। সে সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্টই জিতেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ন'য়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের জনক ইংলিশদের সাথে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ আসে টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ঠিক তিন বছর পর। আগের ম্যাচেই মুলতানে নিজেদের প্রথম জয়ের খুব কাছ থেকে ফেরত এসেছিল টাইগাররা। সে ম্যাচ পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ১ উইকেটে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি তাতে। নবম দেশ হিসেবে ইংলিশদের বিপক্ষেও পরাজিত দলের নাম হয় বাংলাদেশ। নিজেদের ৩য় টেস্টেই ২য় জয় পেল আফগানিস্তান সবশেষে আফগানিস্তান আগের নয়টি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ হেরেছিল টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির একেবারে তিন বছরের মধ্যেই। সে সময় র‍্যাঙ্কিংয়েরও তলানিতে থাকতো টাইগাররা। তাই অভিজ্ঞতাহীন নতুন দল বাংলাদেশের পরাজয় খুব একটা অবাক করেনি কাউকেই। কিন্তু ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের যখন প্রথম দেখা ততদিনে সাদা পোশাকে ১৯ বছর পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ। আর র‍্যাঙ্কিংয়েও প্রথমবারের মতো উপরে থেকে কোন দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামে টাইগাররা। টেস্টে ১৯ বছর পার করেও এখনো এই ফরম্যাটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি বাংলাদেশ কিন্তু ২২৪ রানের হার শেষ পর্যন্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড উপহার দেয় টাইগারদের। আর কোন দলকেই যে টেস্টে ১০টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে হারতে হয়নি। প্রথম দেখায় তো নয়ই। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে জিম্বাবুয়ে এখনো পর্যন্ত দুই নতুন টেস্ট সদস্য আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরেই তাঁদের অবস্থান। অর্থাৎ জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত হেরেছে মোট নয়টি দলের বিপক্ষে। আর জিতেছে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ এই তিন দলের বিপক্ষে। তবে বাংলাদেশে জিতেছে জিম্বাবুয়ের চেয়ে বেশি মোট পাঁচটি দলের বিপক্ষে। দলগুলো হল-জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশে সবগুলো প্রতিপক্ষের সাথে হেরেছে আর জিতেছে পাঁচ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এদিকে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই টেস্ট জয়ের রেকর্ড এখন ২০ বছর বয়সী রশিদ খানের। আর সবচেয়ে দ্রুততম দুটি টেস্ট জয়ের রেকর্ডেও অস্ট্রেলিয়ার পাশে নাম লিখিয়েছে আফগানিস্তান। অজিদের মতো তাঁরাও নিজেদের ৩য় টেস্টেই ২য় জয় তুলে নিলো। যেখানে বাংলাদেশের দুটি টেস্ট জিততে ম্যাচের হিসেবে লেগেছে সবচেয়ে বেশি ষাট ম্যাচ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দলিল নিবন্ধনে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি: টিআইবি এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জানা জরুরি ফুটবল ম্যাচে ভুল জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে তুলকালাম
চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ২২৪ রানে। টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম দলের সাথে বাংলাদেশের এমন হারের পর আলোচনা-সমালোচনা এখন সবখানে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই দুর্নীতি দমন কমিশন কখনোই বিতর্ক মুক্ত হতে পারেনি। পুলিশের সাবেক একজন ডিআইজি অভিযোগ তুলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালক তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো আলোচনায় এসেছে কমিশন। প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ? কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা চাইলেই কি তাঁর ইচ্ছেমতো ঘুষের বিনিময়ে কাউকে রেহাই দেয়া কিংবা কাউকে ফাঁসিয়ে দেবার সুযোগ আছে? দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ নিয়ে বিস্মিত হননি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ড. জামান বলেন, " এটা যে আসলে খুব প্রকট একটা বিষয়, সাম্প্রতিক ঘটনা সেটা প্রমাণ করে।" তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার আগে যখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিল তখন থেকেই সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: 'পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ': সাময়িক বরখাস্ত দুদক কর্মকর্তা দুর্নীতির সূচক: বাংলাদেশের 'বিব্রতকর' অবনতি 'দুর্নীতির ধারণা সূচক তৈরির পদ্ধতি সঠিক নয়' বাংলাদেশে তিনটি খাতে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েছে সংস্থাটির নাম এবং আইন পরিবর্তন মাধ্যমে কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হলেও সে ছায়া এখনো রয়ে গেছে বলে অনেকে মনে করেন। সেজন্য ড. জামান বলেন, "এটা যে একেবারেই অবাক করে দেয়ার মতো ঘটনা অনেকের কাছে, আমি কিন্তু মোটেও অবাক হইনি।" কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়া, কিংবা কেউ ঘুষ না দিলে তাকে দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁসিয়ে দেবার যথেষ্ট ক্ষমতা দুর্নীতির দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তার হাতে রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাকে ঘটনাকে কিভাবে সাজিয়ে দিচ্ছেন সেটির উপর অনেক কিছু নীর্ভর করে বলে মনে করেন ড. জামান। "যে তথ্যটা সংগ্রহ করা হচ্ছে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায়, সে তথ্যগুলোকে কিভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজিয়ে দিচ্ছেন, তার উপর ভিত্তি করে দুদকের কমিশনারগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। " দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তারা যেভাবে তদন্ত করে চার্জশীট আদালতে জমা দেন, সেটির উপর ভিত্তি করে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কর্মকর্তাদের তদন্তের উপর ভিত্তি করে কমিশনের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। টিআইবি বলছে, কমিশনের যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে - তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া জরুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন তৈরি করেন, সেটি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। মি: আলম বলেন, তদন্তে সন্দেহজনকভাবে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো কী না - সে বিষয়টি পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে কমিশনে। "কমিশন দেখভাল করেই কিন্তু স্যাঙ্কশন (অনুমোদন) দেয়। আপনি ডিআইজি মিজানের কথাটাই ধরুন, সে রিপোর্ট কিন্তু এখনো কমিশনের কাছে আসেনি। কমিশনের কাছে আসলে কমিশন দেখতো," - বলছিলেন মি: আলম। তিনি বলেন, এরপর কমিশন সেটি গ্রহণ করতে পারতো আবার নাও করতে পারতো। দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধিকাংশ সময় দেখা যায়, দুর্নীতির শাস্তি হিসেবে হয়তো সাময়িক বরখাস্ত নতুবা বদলি করা হয়। একেবারে চরম পরিস্থিতিতে চাকুরী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু এসব পদক্ষেপ কখনোই দুর্নীতির জন্য যথাযথ শাস্তি হতে পারেনা বলে মনে করেন ড. জামান। "যারা ঘুষ লেনদেন করে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন, তারা ঐ অবস্থানগুলোকে এনজয় (উপভোগ) করেন।" তিনি বলেন, কমিশনের যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে - তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া জরুরী। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত, পয়েন্ট ভাগাভাগি এটিএম বুথ: কতভাবে হ্যাক হতে পারে? আজ ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশের সামনে কঠিন সমীকরণ পাঁচ বছরের মধ্যে অবৈধ শ্রমিক তাড়াবে মালয়েশিয়া?
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের এক পরিচালক একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন, এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হবার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে - দুর্নীতি দমনের জন্য কতটা কাজ করছে এই কমিশন?
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নিয়ে জাপান সরকারের কাছ থেকে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছে। স্থানীয় সময় সকালের দিকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। তবে জাপানের কর্তৃপক্ষ ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করে দেয়ার কোনো চেষ্টা করেনি। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি অবতরণের আগে তিন টুকরা হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এ ঘটনাকে 'নজিরবিহীন হুমকি' বলে বর্ণনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে একটা হুমকি থাকলেও গত আট বছরে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গেল এটি। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার তিনটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। জাপানের আকাশসীমা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র অতিক্রমের এ ঘটনায় দেশটির উত্তরাঞ্চলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, "এটা একটা ভয়ানক কর্মকাণ্ড ও নজিরবিহীন ঘটনা। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর বিশাল হুমকি"। তিনি বলেছেন জাপানের নাগরিকদের সুরক্ষায় তাঁর সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কোরিয় উপদ্বীপে উত্তেজনা আরো বেশি বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি পূর্বদিকের একটি এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। এরপর এটি জাপানের আকাশের ওপর দিয়ে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। আরো পড়ুন: নরখাদকের ভয়ে অস্থির এক গ্রামের চিত্র বিকাশ থেকে ১৩ লাখ টাকা উধাও হলো যেভাবে মেয়ের গর্ভপাত করাতে আদালতের দ্বারস্থ বাবা-মা
উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়ার আগে জাপানের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পানির ওপর নাম জীবন হলেও যদি সেটা দুষিত হয় তাহলে পানিই হতে পারে নানা রোগের কারণ। ঢাকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ পানির চাহিদা থাকে, তার প্রায় পুরোটাই সরবরাহ করে থাকে ওয়াসা। ভূগর্ভস্থ পানি বা নদী থেকে যে পানি আহরণ করা হয় সেটা দুই দফায় পরিশোধনের মাধ্যমে পুরোপুরি দুষণমুক্ত করা হয় ঠিকই তারপরও ঢাকার বাড়িগুলোয় এই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায় না। তার কারণ যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এই পানি মানুষের বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয় সেখানে লিকেজ বা পুরানো পাইপের কারণে পানি দুষিত হয়ে পড়ে। এছাড়া বাড়ির ট্যাংকগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করাও পানি দুষিত হয়ে পড়ার আরেকটি কারণ। ঢাকাসহ সারাদেশের সরবরাহকৃত পানির মান নিয়ে সম্প্রতি এক জরিপ চালায় বিশ্বব্যাংক। তাদের প্রতিবেদন থেকে জানায় যায়, বাসাবাড়িতে যে পানি সরবরাহ হয় সেখানে এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ প্রায় ৮২ শতাংশ। তবে এই পানিকে চাইলে ৯টি উপায়ে শতভাগ বিশুদ্ধ করা সম্ভব। পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরানো ও কার্যকর পদ্ধতির একটি হল সেটা ফুটিয়ে নেয়া। ১. ফুটিয়ে: পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরানো ও কার্যকর পদ্ধতির একটি হল সেটা ফুটিয়ে নেয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, পানি ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ৫ থেকে ২৫ মিনিট ধরে ফোটানো হলে এরমধ্যে থাকা জীবাণু, লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর সেই পানি ঠাণ্ডা করে ছাকনি দিয়ে ছেকে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াটার এইডের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রধান আবদুল্লাহ আল মুঈদ। পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পাত্রের পরিবর্তে কাচ অথবা স্টিলের পাত্র ব্যাবহার করার কথাও জানান তিনি। সেইসঙ্গে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন সেইসব পাত্র বা যে গ্লাসে পানি খাওয়া হচ্ছে সেটি যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা। মিস্টার মুইদ জানান সেদ্ধ করা পানি বেশিদিন রেখে দিলে তাতে আবারও জীবাণুর আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এ কারণে তিনি ফোটানো পানি দুইদিনের বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেন। পানি বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখন ফিল্টারের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। ২. ফিল্টার: পানি ফোটানোর মাধ্যমেই ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকতে ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করা যেতে পারে। তাছাড়া যাদের গ্যাসের সংকট রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিল্টারে পানি বিশুদ্ধ করাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। বাজারে বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার পাওয়া যায়। যার মধ্যে অনেকগুলো জীবাণুর পাশাপাশি পানির দুর্গন্ধ পুরোপুরি দূর করতে সক্ষম। বাজারে মূলত দুই ধরণের ফিল্টার পাওয়া যায়। যার একটি সিরামিক ফিল্টার এবং দ্বিতীয়টি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত রিভার অসমোসিস ফিল্টার। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ সিরামিক ফিল্টার ব্যবহার করে থাকে। তবে আবদুল্লাহ আল মুঈদের মতে, এই ফিল্টার থেকে আপনি কতোটুকু বিশুদ্ধ পানি পাবেন সেটা নির্ভর করে ফিল্টারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় কিনা, তার ওপরে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই বাজারের বোতলজাত পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ৩. ক্লোরিন ট্যাবলেট বা ব্লিচিং: পানির জীবাণু ধ্বংস করতে ক্লোরিন বহুল ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক। যদি পানি ফোটানো বা ফিল্টার করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে পানি বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা যেতে পারে। সাধারণত দুর্গম কোথাও ভ্রমণে গেলে অথবা দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বা জরুরি কোন অবস্থায় ট্যাবলেটের মাধ্যমে পানি শোধন করা যেতে পারে। সাধারণত প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট বা ১০ লিটার পানিতে ব্লিচিং গুলিয়ে রেখে দিলে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। এভাবে পরিশোধিত পানিতে কিছুটা গন্ধ থাকলেও সেটা পরিষ্কার স্থানে খোলা রাখলে বা পরিচ্ছন্ন কোন কাঠি দিয়ে নাড়াচাড়া করলে গন্ধটি বাতাসে মিশে যায় বলে জানান আবদুল্লাহ আল মুঈদ। পানি সরবরাহের পাইপলাইন থেকে সবচেয়ে বেশি দুষণ হয়ে থাকে। ৪. পটাশ বা ফিটকিরি: এক কলসি পানিতে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিলে পানির ভেতরে থাকা ময়লাগুলো তলানিতে স্তর হয়ে জমে। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে শোধিত পানি সংগ্রহ করে তলানির পানি ফেলে দিতে হবে। অথবা পানি ছেকে নিয়ে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন মিস্টার মুঈদ। ৫. সৌর পদ্ধতি: যেসব প্রত্যন্ত স্থানে পরিশোধিত পানির অন্য কোনও উপায় নেই সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় সৌর পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে দুষিত পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে কয়েকঘণ্টা তীব্র সূর্যের আলো ও তাপে রেখে দিতে হবে। এতে করে পানির সব ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। আরও পড়তে পারেন: জীবন রক্ষাকারী পানি যখন অসুখের কারণ জেনে নিন ফ্যাশন কিভাবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে সিএনজির ছাদে গাছ লাগিয়ে ঢাকার পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা জরুরি অবস্থায় দূষিত পানি জনিত রোগ ঠেকাতে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ৬. আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি: পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি জীবাণু মুক্ত করার জন্য অতিবেগুনি বিকিরণ কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এতে করে পানির সব ধরণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। বাজারের বেশ কয়েকটি আধুনিক ফিল্টারে এই আল্ট্রাভায়োলেট পিউরিফিকেশন প্রযুক্তি রয়েছে। তবে ঘোলা পানিতে বা রাসায়নিক-যুক্ত পানিতে এই পদ্ধতিটি খুব একটা কার্যকর নয়। তাছাড়া এই উপায়টি কিছুটা ব্যয়বহুলও। ৭. আয়োডিন: এক লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এই কাজটি শুধুমাত্র দক্ষ কারও মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছেন মিস্টার মুঈদ। কেননা পানি ও আয়োডিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে সেই পানি শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আরো পড়ুন: 'জামাল খাসোগজিকে খুন করে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে' ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা পরিবার কি মিয়ানমারের দাবার ঘুঁটি?
পানির ওপর নাম জীবন হলেও যদি সেটা দুষিত হয় তাহলে পানিই হতে পারে নানা রোগের কারণ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কক্সবাজারের কাছে একটি রোহিঙ্গা শিবির জানা যাচ্ছে ভাসানচরে বেড়িবাধ নির্মাণ, ঘরবাড়ি, সাইক্লোন শেল্টারসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সরকার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে চা‌ইছে। অথচ কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই এখন সেখান থেকে সরতে চান না। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, ভাসানচরে স্থানান্তরের আগে কারিগরি মূল্যায়ন শেষে রোহিঙ্গাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার আবুল কালাম কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা বেশিরভাগই যে নামটির সঙ্গে পরিচিত সেটি ঠেঙ্গার চর। ভাসানচরে যেতে চায় কিনা - এমনটি জানতে চাইলে নূর বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, "আমরা এখানে যেভাবে আছি ভাল আছি যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই। শুনেছি তিনঘণ্টা লঞ্চে যেতে হয়। সাগর আছে। আমাদের ভয় করে।" ক্যম্পে বসে সালমা খাতুন বলছিলেন, "আমরা মা-বোনদের মধ্যে একটু একটু আলোচনা হয়। আমরা যাব না। এখানে থাকবো। কোত্থাও যাব না।" কেন যেতে চান না সে প্রশ্নে সালমা বলেন, "বার্মার থেকে আসার পর এইখানে আমাদের ভাল লাগে। আমরা এইখানে সয়ে গেছি। অতদূর আমরা যাব না। অনেক দূর। বোটে করে যেতে হয় তিন ঘণ্টা।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা 'গণহত্যার' তদন্ত কীভাবে করেছে জাতিসংঘ? রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে দুষলেন সু চি রোহিঙ্গা নির্যাতন: প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি রোহিঙ্গা ক্যাম্প মাঝিদের একজন নেতা মো: রফিক বয়স্ক আজিম উদ্দীন জানান এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, "কিছু মানুষ বলছে আমরা ওই জায়গা চিনি না। পানি উঠে ডুবে যাবে কিনা। সুবিধা হবে হবে নাকি অসুবিধা হবে? এসবতো আমাদের জানা নাই। রোহিঙ্গারা কী চাইছে এ প্রশ্নে আজিম উদ্দীন বলেন, "এখান থাকবে, না হয় এখান থেকে নিজের দেশে চলে যাবে। এটাই ইচ্ছা" কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্পের একটি ব্লকের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, "আমাদের ভাল জায়গায় নিয়ে গেলে আমরা যেতে রাজী আছি। ঠেঙ্গার চরে যেতে রাজী নই।" আকাশ থেকে তোলা ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, যার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষ ক্যাম্প মাঝিদের একজন নেতা মো: রফিক জানান, প্রশাসনের লোকজন ক্যাম্পের মাঝিদের সঙ্গে একদফা আলাপ করেছিল ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে। তাদের একটি তালিকা করারও কথা বলা হয়েছিল কিন্তু সেটি আর পরে এগোয়নি। রফিক বলেন, "প্রথমে আমাদের দেখতে হবে ওই জায়গাটা কিরকম। কন্ডিশনটা কি। যারা রিসার্চার আছে তারা কী বলতেছে ওই জায়গাটার ব্যাপারে। সবাই যদি ডিসিশন দেয় যে ওই জায়গাটায় ভাল মতোন থাকা যায়, আবহাওয়াটা ভাল, লোকগুলো সুস্থ ভাবে থাকতে পারবে। তাহলে কোনো সমস্যা নাই - লোকগুলো চলে যাবে।" সরকারি হিসেবে কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। এই রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, আবাসনসহ সার্বিক ত্রাণ তৎপরতা রয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। ভাসান চরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নকশা ভাসানচর প্রকল্প নিয়ে কথা হয় জাতিসংঘ বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সাথে। তিনি জানিয়েছেন, "ভাসান চরে শরণার্থীদের স্থানান্তরের পূর্বে এর সম্ভাব্যতা ও আকাঙ্খা যাচাই করতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার দ্বারা স্বাধীন কারিগরি এবং সুরক্ষা মূল্যায়ন করা উচিত।" "এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সেখানকার নিরাপত্তা, বাসযোগ্যতা এবং এক লক্ষ শরণার্থী পরিবহন এবং সেখানে বসবাসের কী প্রভাব হবে সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে" - বলছিলেন তিনি। মিয়া সেপ্পো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জাতিসংঘ আরো মনে করে, স্থানান্তরের আগে এ মূল্যায়ন থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করতে হবে - যাতে তারা সেখানে যাবে কিনা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদিকে কক্সবাজারের অবস্থিত রোহিঙ্গা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান, "তাদেরকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার মূল কাজটি শুরু করার আগে আমাদের এরকম একটি পরিকল্পনা আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা আছে যে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য মাঝিদের একটি নির্বাচিত দলকে আমরা সেখানে নিয়ে যাব।" "তারা নিজেরা সেখানে সরেজমিনে দেখে আসবেন এবং সেখানের পরিস্থিতি সুযোগ সুবিধা দেখে আমরা বিশ্বাস করি যে তারা নিজেরাই যেতে আগ্রহী হবে।"
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করলেও রোহিঙ্গারা জানাচ্ছে তারা সেখানে যেতে একেবারেই প্রস্তুত নয়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অরুন্ধতী রায় এদিন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন ‘মানুষ মানুষকে হত্যা করতে, পিটিয়ে বা গুলি করে মারতে, জ্বালিয়ে দিতে বা গণহত্যা করতে যে ধরনের হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে তা বর্ণনা করার জন্য অসিহষ্ণুতা শব্দটা মোটেও যথেষ্ট নয়’।। বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় ১৯৮৯ সালে ‘ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’ ছবির চিত্রনাট্য লেখার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তা ছাড়া সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারের প্রস্তাবও তিনি আগেই ফিরিয়ে দেন। বিশিষ্ট চিত্রনির্মাতা সৈয়দ আখতার মির্জা ১৯৮৪ সালে মোহন জোশী হাজির হো ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন, পরে তিনি আরও দুবার এই সম্মান লাভ করেন। সিনেমা জগতের দিকপালরা যেভাবে অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে একজোট হচ্ছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে সৈয়দ মির্জা বলেন, ‘এখন যদি আমরা প্রতিবাদ না-করি, তাহলে আর কখন করব?’ কুন্দন শাহ-ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন আশির দশকে তার কাল্ট-ক্লাসিক ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির জন্য। কুন্দন শাহ সেই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আজকের পরিবেশে’ হয়তো জানে ভি দো ইয়ারো’-র মতো ছবি বানানোই সম্ভব হত না। সৈয়দ মির্জা, কুন্দন শাহ-সহ ভারতীয় সিনেমা জগতের মোট ২৪জন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আজ একযোগে তাদের পুরস্কার সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ভারতে সম্প্রতি এই পুরস্কার বর্জন করার ধারার সূচনা করেছিলেন দেশের বিভিন্ন ভাষায় লেখালেখি করা সাহিত্যিকরা। একের পর লেখক অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। এরপর দেশের বহু শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, চিত্র পরিচালক ও ইতিহাসবিদরাও একে একে সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার একে ‘সাজানো প্রতিবাদ’ বলেই এ যাবত নাকচ করে এসেছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়, চিত্রনির্মাতা কুন্দন শাহ ও সৈয়দ মির্জা-সহ আরও এক ঝাঁক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তাদের জাতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শেখ হাসিনা আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেলা কোটাও বাতিল হয়ে গেছে। এখন কেউ এসে পিছিয়ে পড়া হিসেবে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ করতে পারবে না। "আন্দোলনের সময়কার অনেক ছবি সংরক্ষণ করে রাখা আছে" - বলেন প্রধানমন্ত্রী। কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে এখন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন কোটা ব্যবস্থা রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা বলেন, "ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা চায় না। তারা আন্দোলন করেছে। ফলে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এনিয়ে আর আলোচনা করার বা হা-হুতাশ করার কিছু নেই ।" কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যঙ্গ করার অভিযোগের কথা তুলে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার বিষয় তিনি মেনে নিতে পারেন না। "ঐ আন্দোলনে কারা ঢুকে পড়েছে" - সে প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা মূলত যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরবে তার সাম্প্রতিক সফর নিয়ে কথা বলার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। তবে এতে কোটা প্রসঙ্গ ছাড়াও আগামী নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু, তারেক রহমান সহ আরো অনেক বিষয়ে কথা বলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কেন সুচির সুর নরম, নিরাপত্তা পরিষদ কি বলেছে তাকে 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' 'ইসলাম বিদ্বেষ কমছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক' ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে আর হাহুতাশ করে লাভ নেই , বলেন শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ায় দলটি আগামী নির্বাচনে না এলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে? এ প্রশ্নও রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সামনে । জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোন দল নির্বাচন করবে বা করবে না, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। জোর করে কাউকে নির্বাচনে আনা গণতান্ত্রিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। একইসাথে তিনি বলেন, "দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে খালেদা জিয়া জেলে গেছেন। এটা আদালত বা আইনের বিষয়।।" এ নিয়ে কোন রাজনৈতিক দাবি করা ঠিক নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার সাজা হবার পর বিএনপি যে তার ছেলে লন্ডনে আশ্রয় নেয়া তারেক রহমানকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে - এ নিয়েও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এখন তারেক রহমান "তারেক রহমান দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ব্রিটিশ সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে তাকে দেশে আনার জন্য। বিএনপিতে কি একজন উপযুক্ত নেতা খুঁজে পাওয়া গেল না? একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে চেয়ারপারসন করা হলো, সেখান থেকে সে নেতৃত্ব দেয়। রাজনীিততে এতবড় দেউলিয়াত্ব আর কি আছে সেটা আপনার কি ভেবে দেখেন?" - বলেন শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার আলোচনার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের সাথে কথা বলে তার মনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তারা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গেই কাজ করছে। আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে কিনা- এই প্রশ্নও করেছিলেন সাংবাদিকরা। শেখ হাসিনার জবাব ছিল বেশ সতর্ক। তিনি বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল সবসময়ই আশা করে যে, তারা নির্বাচনে জয়ী হবে। তিনি বলেছেন, জনগণ যদি মনে করেন, তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। তাহলে তাঁরা জয়ী হবেন বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার করে দিয়েছেন যে সরকারি চাকরিতে যে কোটা ব্যবস্থা ছিল তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে এবং এখন তা নিয়ে আর হা-হুতাশ করার কিছু নেই।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পৃথিবীতে আর কোন মহামারির সময় একটি প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য মানুষ এতটা সংগ্রাম করেনি। পৃথিবীতে স্প্যানিশ ফ্লু, কলেরা, গুটি বসন্ত, সোয়াইন ফ্লু, ইবোলা এরকম আর কোন মহামারির সময় একটি প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য মানুষ এতটা সংগ্রাম করেনি। যেসব দেশের গবেষণা করে একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সক্ষমতা নেই - এটি পাওয়ার জন্য তাদের লড়তে হবে বিশ্বের উন্নত ও ধনী দেশগুলোর সাথে। আবিষ্কার হওয়া মাত্রই কিভাবে এই ভ্যাকসিন দ্রুততার সাথে পাওয়া যাবে সে নিয়ে বাংলাদেশও কাজ করছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশ কতদূর? ভ্যাকসিন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সোমবার একটি বৈঠক হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো: আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, "করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে যারা একটু এগিয়ে আছে- যেমন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, গ্যাভি দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, চীন - পৃথিবীর যে দেশই ভ্যাকসিন ট্রায়ালে এগিয়ে আছে তাদের সাথে কিভাবে একটু যোগাযোগ রক্ষা করা যায় সেই ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। এটা নিয়েই আমরা আজ কথা বলেছি।" তিনি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি এই যোগাযোগ তৈরি করার ব্যাপারে সাহায্য করবে। প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে যোগাযোগ রয়েছে সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে ভ্যাকসিন খুবই দরকার বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মি. মান্নান বলছেন, "তাদের বহু স্পেশালিষ্ট রয়েছে যারা সরাসরি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কাজ করছেন। তাদেরকে যোগাযোগ তৈরি করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা। তারাও চেষ্টা করবে বলেছে।" মি. মান্নান দাবি করছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবচেয়ে সফল ভ্যাকসিনটি কিভাবে দ্রুততার সাথে পাওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগিয়ে রয়েছে। ভ্যাকসিন আনতে দরকারে অর্থ খরচ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভ্যাকসিন দ্রুত পাওয়ার জন্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ইউরোপে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কয়েকটি দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বজায় রাখছে পররাষ্ট মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে মো: আব্দুল মান্নান বলছেন, করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিনটির সফল পরীক্ষা হবে, সেটি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ 'দরকারে' অর্থ খরচ করবে। তিনি বলছেন, অর্থ দিয়ে কিনতে হলে অর্থের উৎস কি হবে সেটি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে এর আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বেশকটি সাহায্য সংস্থার সাথেও কথা বলেছে। ভ্যাকসিন বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দেশের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সক্ষমতা নেই অথবা ক্রয় ক্ষমতাও যাদের সীমিত তাদের ক্ষেত্রে যাতে বৈষম্য তৈরি না হয়, ভ্যাকসিন শুধু অর্থ ক্ষমতার বিষয় হয়ে না দাঁড়ায় - সেজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৯০টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে। যারা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন দেশের মাথাপিছু আয় কত সেটি বিবেচনা করা হয়েছে এবং এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে একটি দেশের চাহিদা অনুযায়ী। অক্সফোর্ডে ক্লিনিকাল ট্রায়াল অংশ নিয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণ ব্রাজিল ও ভারতসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশের হয়ে মানবদেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছে। আর এজন্য তারা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশও চীনের সাথে এরকম একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যুক্ত হচ্ছে এমনটা শোনা গেলেও সেটির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যা বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে আরও এগিয়ে দিতে পারতো। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর এপিডোমলজি বিভাগের প্রধান ডা. প্রদীপ কুমার সেন গুপ্ত বলছেন, "আমরা ভ্যাকসিন কিছু সংখ্যায় পাবো। তবে হ্যাঁ, ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করলে আমাদের অবস্থানটা আর একটু ভাল যায়গায় থাকতো।" তার ভাষায়, "ভ্যাকসিন আসার আগে আজ হোক বা কাল হোক বাংলাদেশকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যোগ দিতে হবে। ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হয়। জাতিগত বৈচিত্র্য অনুযায়ীও এর পরীক্ষা দরকার হয়। কারণ একএক জাতির মানুষের জীন ভিন্ন, তাদের উপর ভাইরাস ও ঔষধের প্রভাবও ভিন্ন হয়। তাই বাংলাদেশেও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হতে হবে।" বাংলাদেশে যারা এটি আগে পাবেন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পর বাংলাদেশ সেটি আনতে সমর্থ হলেও দেশের ভেতরেও অগ্রাধিকার দেয়া হবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে। এর মধ্যে রয়েছেন, যারা সরাসরি কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত, যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব, যাদের নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যা রয়েছে যেমন কিডনী, হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের জটিল রোগে ভুগছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারী তারা অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশে অগ্রাধিকার দেয়া হবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে। অর্থাৎ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি - তারা অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষ মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। বাংলাদেশের জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কতটা জরুরী সারা বিশ্বের প্রায় দুইশটির মতো কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে মানবদেহে ট্রায়ালে এগিয়ে রয়েছে, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড, চীনের সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট। ছয়টি ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলছেন, "বাংলাদেশের জন্য একটি ভ্যাকসিন খুবই দরকার কারণ বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সবকিছু বন্ধ রেখে মানুষকে ঘরে রাখা খুবই সমস্যার একটি বিষয়। কারণ জীবন টিকিয়ে রাখতে হলে জীবিকাও লাগবে।" "পৃথিবীর কোন দেশ থেকে কবে এই ভাইরাস চলে যাবে সেটাতো বলা মুশকিল। সংক্রমণ যদি দীর্ঘ দিনের জন্য থাকে তাহলে ভ্যাকসিন দিয়ে যদি এর সংক্রমণে একটা হস্তক্ষেপ করতে পারা যায় তাহলে কিছু জনগোষ্ঠী অন্তত নিরাপদে থাকতে পারলো।"
একটি ভ্যাকসিনই আপাতত করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভরসা বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। টুইটারে জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন "ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধপীড়িত অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা কানাডায় স্বাগতম।বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি"। সাতটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় শরণার্থীদের কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের জন্য কানাডার দরজা খোলা।' তিনি এ জন্য হ্যাশট্যাগ "ওয়েলকামটুকানাডা" চালু করেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলার পর কানাডার কর্মকর্তারা জানান, "যাঁদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, তাঁরা ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না"। "কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে"। আমেরিকার ডালাস বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্পের অব্যাহত সমালোচনার মধ্যেই আরও একটি টুইট করেন জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ২০১৫ সালের এই ছবিতে তাকে কানাডার বিমানবন্দরে একজন সিরিয়ান শরণার্থীকে স্বাগত জানাতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর গত শনিবার বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। তবে তাদেরকে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন একটি আদালত। আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটকে যাচ্ছেন ৭ মুসলিম দেশের লোকেরা অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত বাংলাদেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা চলবে টুইটারে পোস্ট করা জাস্টিন ট্রুডোর ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কয়েকটি মুসলিম দেশের শরণার্থী বা অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শরণার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন জাস্টিন ট্রুডো। শরণার্থীদের নিজ দেশে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আসামের নওগাঁতে মুসলিম নারীদের প্রতিবাদ আসামের তথাকথিত 'দেশজ' মুসলিমদের একটি বড় সংগঠন এই উদ্যোগের পেছনে আছে, যাতে ক্ষমতাসীন বিজেপিরও প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সংগঠন ইতোমধ্যেই অসমিয়া ভাষী মুসলিমদের কাছ থেকে 'এনআরসি-র ধাঁচে' তথ্য সংগ্রহর কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে রাজ্যের মুসলিম সমাজের নেতারা অনেকেই এই পদক্ষেপকে আসামের বাংলাভাষী ও অসমিয়াভাষী মুসলিমদের মধ্যে আরও একটা বিভাজন সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই দেখছেন। বস্তুত আসামের দেশজ মুসলিমদের মধ্যে প্রধানত তিনটি জনগোষ্ঠী আছে, আপার আসামের গোরিয়া ও মোরিয়া এবং লোয়ার আসামের দেশি মুসলিম। আরও পড়তে পারেন: আসামে 'মিঁয়া মিউজিয়াম' গড়ে তোলার প্রস্তাবে সরকারের আপত্তি কেন? মুসলিমদের 'মিঞা কবিতা' নিয়ে আসামে বিতর্ক কেন? আসামে নাগরিকত্ব হারানোদের সামনে জটিল দীর্ঘ পথ সৈয়দ মুমিনুল আওয়াল এই দেশজ মুসলিমদেরই অন্তত তিরিশটি সংগঠন মিলে যৌথভাবে গঠন করেছে 'জনগোষ্ঠীয় সমন্বয় পরিষদ', যার প্রধান আহ্বায়ক হলেন সৈয়দ মুমিনুল আওয়াল। মি আওয়াল আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতা, রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনেরও চেয়ারম্যান তিনি। গত সপ্তাহেই আসামে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তার দিনকয়েক পরেই পরিষদ দেশজ মুসলিমদের জন্য এই তথ্য সংগ্রহ বা সেন্সাসের কথা ঘোষণা করে। সৈয়দ মুমিনুল আওয়াল বলেন, "এই অনলাইন জরিপে রাজ্যের গোরিয়া, মোরিয়া ও দেশি মুসলিমরা একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে তাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ইত্যাদি পরিচয়পত্র এবং গ্রামের মোড়ল বা শহরের পৌর বোর্ডের দেওয়া শংসাপত্র আপলোড করে নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারবেন।" আসামের চরাঞ্চলের মানুষজন ১৫ এপ্রিল থেকে এই পোর্টাল কাজ শুরু করেছে, চালু হয়েছে একটি টেলিফোন হেল্পলাইনও। আসামের সংবাদমাধ্যমে এই পদক্ষেপকে একটি 'মুসলিম এনআরসি' বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, তবে মি আওয়াল তার সঙ্গে একমত নন। তিনি যুক্তি দিচ্ছেন, "এটা কখনওই মুসলিম এনআরসি নয় - বরং এটা হল গোরিয়া, মোরিয়া ও দেশি মুসলিমদের মধ্যে চালানো একটি জরিপ। যেখানে আগামী তিন মাস ধরে স্বেচ্ছায় নিজেদের তথ্য জমা দেবেন।" "রাজ্যের প্রতিটি রাজস্ব সার্কলে কতজন দেশজ মুসলিম আছেন, সেই ডেটাবেস তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।" "আসামের সব ইসলাম ধর্মাবলম্বী জাতিগোষ্ঠীকেই এক মুসলিম ব্র্যাকেটে ফেলে দেওয়া হয়, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ একটা দেশে মুসলিম - শুধু এই ধর্মীয় পরিচয়টা তো কাম্য হতে পারে না।" উনিশ শতকের প্রথম দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে আসামের অন্তর্ভুক্তির আগে থেকেই যে মুসলিমরা সেখানে বসবাস করেছেন, তাদের বংশধররাই আসামের দেশজ মুসলিম বলে স্বীকৃত। যে পোর্টালের মাধ্যমে এই জরিপ শুরু হয়েছে তার স্ক্রিনশট এখন বেসরকারি উদ্যোগে তাদের জন্য আলাদা সেন্সাস বা ডেটাবেস তৈরির উদ্যোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির কর্ণধার হাফিজ রশিদ চৌধুরী। তবে তিনি স্বীকার করছেন এটা অহমিয়া ও বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই বিভেদ সৃষ্টি করবে। হাফিজ রশিদ চৌধুরী বিবিসিকে বলছিলেন, "দেখুন সেন্সাস বা আদমশুমারি তো কখনও বেসরকারি বা প্রাইভেট সংগঠন করতে পারে না। আর সরকারের এখানে সরাসরি কোনও ভূমিকাও নেই।" "তারপরও এই সংগঠন যে সার্ভে-টা করতে চাইছে, বিটুইন-দ্য-লাইনস পড়তে গেলে সেটার একমাত্র লক্ষ্য দাঁড়ায় অসমিয়া মুসলিম ও বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করা।" "আমরা এ রাজ্যের মুসলিমরা সার্বিকভাবে নিজেদের একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হিসেবেই দেখি। তার মধ্যে আবার আসামের মুসলিম, বাঙালি মুসলিম, হিন্দিভাষী মুসলিম, উর্দুভাষী মুসলিম - এভাবে ভাগ করাটা কখনওই কাম্য নয়।" অবৈধ বিদেশি সন্দেহে বহুদিন ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন কামরূপ জেলার রেহমত আলি "তারপরও বেসরকারিভাবে কেউ চাইলে সার্ভে করাতেই পারে। তার হয়তো বৈধতা থাকবে না, কিন্তু সেটা সামাজিকভাবে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারবে", আক্ষেপের সুরে বলছিলেন হাফিজ রশিদ চৌধুরী। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির অধ্যাপক বর্ণালী চৌধুরী আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের পরের প্রজন্মও যেভাবে অসমিয়া শিখে নিয়েছে তাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফারাক করা খুবই কঠিন হবে। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "আসামের অভিবাসী বাঙালি মুসলিমরা, বিশেষত যারা নদীর চরাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কিন্তু অসমিয়া সংস্কৃতিকে বহুদিন আগেই আত্মস্থ করেছেন।" "তারা অনেকেই এখানে নও-অসমিয়া বা নব্য অসমিয়া নামেও পরিচিত। ফলে দেশজ মুসলিমদের আলাদা ডেটাবেস তৈরির চেষ্টা নিখুঁত হওয়া একরকম অসম্ভব।" "কারণ যে অভিবাসীরা একবর্ণও অসমিয়া বলতে পারতেন না, তাদের তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম প্রজন্ম কিন্তু অসমিয়া মাধ্যম স্কুলে পড়ছে, আসামের ভূমিপুত্রদের চেয়েও তারা কোনও অংশে কম অসমিয়া নন।" বিজেপি আসামে তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরলে তারা নতুন করে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা 'সংশোধিত এনআরসি'-র কাজ শুরু করবে। সেই প্রক্রিয়ায় যাতে অসমিয়া-ভাষী মুসলিমরা সুরক্ষিত থাকেন, এই অনলাইন সেন্সাস সেটা নিশ্চিত করার একটা চেষ্টা বলেও মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক।
ভারতের আসাম রাজ্যে যে মুসলিমরা নিজেদের সেখানকার ভূমিপুত্র বলে মনে করেন, শুধুমাত্র তাদের জন্য একটি অনলাইন সেন্সাস বা আদমশুমারির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে কোভিশিল্ড নামে ইইউ-র ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে 'নিরাপদ এবং কার্যকর' বলে আখ্যা দেয়ার পর জোটের ওইসব দেশ এই টিকা দেয়া শুরু করবে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সাথে এই টিকার সম্পর্ক থাকার আশঙ্কা থেকে ইইউ- ১৩টি দেশ এই টিকা দেয়া স্থগিত করেছিল। এরপরেই ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বিষয়টি পর্যালোচনা করে। ওই পর্যালোচনায় বলা হয় যে রক্ত জমাট বাঁধার উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গে এই টিকার সম্পর্ক নেই। এখন জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, এবং স্পেন বলছে যে তারা এই টিকা দেয়া আবার শুরু করবে। তবে কবে থেকে এই টিকা দেয়া শুরু হবে, তা দেশগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। যেমন সুইডেন বলেছে যে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের আরও কিছুটা সময় দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার দেশগুলোকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি এই টিকার বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ শুক্রবার প্রকাশ করবে। ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি নির্দিষ্ট করে অল্প কিছু ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করেছে। যেসব ঘটনায় শরীরে অস্বাভাবিক অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ছিল, বিশেষ করে তারা সেই সব ঘটনার দিকে নজর দিয়েছে যেখানে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। টিকার ব্যবহার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলে টিকাদান কার্যক্রমে উদ্বেগ তৈরি করে, যার ফলে ইতিমধ্যে এর প্রভাব হিসেবে টিকার যোগানের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাটেক্স বৃহস্পতিবার তাঁর দেশের জন্য নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে মহামারি দ্রুত গতি পাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ বাড়ছে। পঞ্চান্ন বছর বয়সী মি. ক্যাটেক্স বলছেন যে তিনি শুক্রবার বিকেলে টিকা নেবেন। ইএমএ আসলে কী বলছে? ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির নির্বাহী পরিচালক এমার কুক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "এই টিকা নিরাপদ এবং কার্যকরী"। "কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের ফলে মৃত্যু এবং হাসপাতালের চিকিৎসা নেয়ার যে সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে, তার তুলনায় এই টিকার উপকারী দিক হল যে টিকাটি এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে"। মিস কুক বলেন, ইএমএ'র ওষুধ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে যে "রক্ত জমাট বাঁধার সামগ্রিক ঝুঁকি বাড়ার সাথে এই টিকার সংশ্লিষ্টতা নেই"। কোভিশিল্ড টিকা নিচ্ছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী তবে তিনি এও বলেন যে ইএমএ অল্প সংখ্যক বিরল এবং অস্বাভাবিক কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ককে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। তাই এই কমিটি প্রস্তাব করেছে টিকার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, টিকাতে তৈরিতে কি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা জানানো নিশ্চিত করা। মিস কুক বলেন, এই ব্যাপারে অতিরিক্ত তদন্ত করা হচ্ছে। "যদি এটা আমি হতাম, তাহলে আগামীকাল টিকা নিতাম" মিস কুক বলেন। "কিন্তু আমি জানতে চাই টিকা নেয়ার পর যদি কিছু হয়, তাহলে আমার তখন কী করা উচিত হবে, এবং সেটার কথা আজ আমরা বলছি"। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে নিরাপদ এবং কার্যকরী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পাহন বলেন, "যেসব নারীর বয়স ৫৫ বছরের নীচে তাদের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির ব্যাপারে ডাক্তারদের কাছে তথ্য থাকা উচিত, যাতে তারা রোগীকেও সেই তথ্য দিতে পারে"। ইউরোপীয় দেশগুলো কেমন এমন করলো? ওই অঞ্চলে অল্প কিছু মানুষের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার পর ১৩টি দেশ টিকা দেয়া স্থগিত করে। প্রথম সারির এই রাষ্ট্র গুলো বলেছে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা এটি স্থগিত করেছিল। ফ্রান্সের সরকারের উপদেষ্টা বোর্ডের প্রধান অ্যালান ফিসার ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে বলেন, "সময় শেষ হয়ে যায়নি। কিছু অস্বাভাবিক এবং সমস্যাযুক্ত ঘটনা ছিল যা এই স্থগিতাদেশ এবং বিশ্লেষণ ঠিক ছিল বলে প্রমাণ করে"। বিবিসি বাংলায় আরেও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হঠাৎ কেন বেড়ে গেল? করোনাভাইরাস: সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে ভারতে কি করোনা সংক্রমণের 'সেকেন্ড ওয়েভ' আঘাত হেনেছে? বাংলাদেশে দুই মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও ইঙ্গিত দিয়েছে যে টিকা নেয়ার পর কয়েকজনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যান্য দেশ যেমন অস্ট্রিয়া টিকা দেয়া স্থগিত করে। তবে বেলজিয়াম, পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিক সেই সব দেশের মধ্যে রয়েছে যারা বলেছে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তারা চালু রাখবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে কিছু রাজনীতিবিদ এবং বিজ্ঞানী সমালোচনা করেছেন। জার্মানির বিরোধীদল ফ্রি ডেমোক্রাটস-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত দেশটির সামগ্রিক টিকা কর্মসূচীকে পিছিয়ে দিয়েছে। জার্মান গ্রিন পার্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়ানোস ডাহমেন মনে করেন কর্তৃপক্ষ টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারতো। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহ্যামের ওষুধ নিরাপত্তা গবেষক ডা. অ্যান্থনি কক্স এটিকে একটি খারাপ সিদ্ধান্ত হিসেবে বর্ণনা করে বিবিসিকে বলছেন যে এই সিদ্ধান্ত ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা কী বলছে? কোম্পানিটি বলছে যে টিকা নেয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার কোন প্রমাণ নেই। তারা বলছে, মার্চের ৮ তারিখ পর্যন্ত ইইউ এবং যুক্তরাজ্যে এক কোটি ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ এই টিকা নিয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৭ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হয়েছে। "যে বিশাল সংখ্যক জনগণকে এই টিকা দেয়া হয়েছে, সেই তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেক কম," বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করেছে। তিনি বিবিসিকে সোমবার বলেন, "যুক্তরাজ্যে রক্ত জমাট বাঁধা বাড়ছে এমন কোন প্রমাণ নেই।" ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথা শোনার জন্য এবং টিকার নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি বাংলায় আরেও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ার বর্ণনা দুই নারীর সমুদ্রে টুনা জাতীয় মাছ নিয়ে সমীক্ষা করবে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ সময় মতোই পাওয়া যাবে সিরামের টিকা- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লকডাউনের পরেও কেন শিশু জন্মের হার বাড়েনি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভূক্ত যেসব দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দেয়া স্থগিত করা হয়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগ দেশেই আবার ওই টিকা দেয়া শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হলো এতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট আইস হকি বা বরফের উপরে হকি খেলার ইভেন্টে আছে তাতে দুই দেশ যৌথভাবে দল গঠন করবে। তবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য কালক্ষেপন করছে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। ৯ থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অলিম্পিকের এই আসর দক্ষিণ কোরিয়ায় হবে। উত্তর ও দক্ষিণের সহযোগিতামূলক এই অভিনব সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাঙ কিইয়ুঙ-ওয়াহ। মিজ কিইয়ুঙ-ওয়াহ এখান বলছেন, সব মিলিয়ে এটি একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতা। আমি মনে করি এই আয়োজনের প্রতিটি বিষয়ই অত্যন্ত মনোযোগের সাথে আমাদের সম্পন্ন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাঙ কিইয়ুঙ-ওয়াহ আমরা আশাবাদী যে, সব কিছু আমরা চমৎকারভাবে সামলে নেবো। এটি খেলার জন্য ইতিবাচক হবে, দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ইতিবাচক হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও এটি ইতিবাচক বার্তা দেবে। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে, কয়েকশ লোকের একটি প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণে যাবে। সেই টিমে থাকবেন ২৩০ জন চিয়ারলিডার, ১৪০ জন অর্কেস্ট্রা বাদক এবং ৩০জন তায়েকোয়ান্দ অ্যাথলেট। এই ডেলিগেশন কোরীয় সীমান্ত অতিক্রমের অনুমতি পেয়েছে। অর্থাৎ গত দুই বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম আন্ত-সীমান্ত খুলে দেয়া হবে অলিম্পিকের আসরে অংশগ্রহণকে উপলক্ষ করেই।
আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে একসাথে এক পতাকার নিচে সামিল হবার ঘোষণা দিয়েছে দুই কোরিয়া।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ডিআর কঙ্গোর জঙ্গলে দেখা মেলে এই বিষধর সাপের। ভৌগোলিকভাবে আফ্রিকার এই দেশটির সীমানার চারপাশ এবং ভেতরের বিরাট অংশ বনভূমি। আর এই গহীন বনেই এক মৃত্যুফাঁদ দিনে দিনে বড় হয়ে উঠছে। এসব জঙ্গলে বিপুল পরিমাণ বিষধর সাপের বাস। প্রতি বছর সাপের ছোবলে আহত এবং নিহত হয় অনেক মানুষ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মেদসাঁ স্যঁ ফ্রঁতিয়ে যাকে আফ্রিকার 'অবহেলিত এক সংকট' বলে বর্ণনা করেছে। সম্প্রতি পুলিৎজার সেন্টারের 'ক্রাইসিস রিপোর্টিং' এর অংশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপের খোঁজে কঙ্গোর জঙ্গলে গিয়েছিলেন ফটোগ্রাফার হিউ কিনসেলা কানিঙহ্যাম। তিনি সেখানে দেখা পাওয়া নানা জাতের সাপের ছবি তুলেছেন। সেই সঙ্গে যারা সাপ ধরেন, যারা মাছ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন - তাদের জীবনযাপন প্রক্রিয়াও উঠে এসেছে তার ক্যামেরায়। আরো পড়ুন: সাপের কামড়: কত ভয়ানক হুমকি? সাপের বিষ শরীরে নিয়ে ডায়েরি লিখে গেছেন যিনি সর্পদংশন: 'হাতটা যেন হাতুড়ির আঘাতে চুরমার হয়ে যাচ্ছে' প্যাট্রিক নামে এক জেলের হাতে একটি জীবন্ত মামবা । প্যাট্রিক নামে এক জেলে রুকি নদীর পাশে বাস করছেন কয়েক পুরুষ যাবত। বিষধর সাপের ছোবলে ঐ গ্রামে বহু মানুষ মারা যায় প্রতি বছর, যে কারণে সাপ দেখলেই পিটিয়ে হোক বা যেকোন উপায়ে মেরে ফেলাই স্বাভাবিক সকলের কাছে। কিন্তু গত মাসে প্যাট্রিকের জালে একটি বিষধর মামবা ধরা পড়ে, কিন্তু সে তাকে মেরে না ফেলে রেখে দিয়েছে। ডিআর কঙ্গোতে প্রতি বছর বহু মানুষ সাপের ছোবলে মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডিআর কঙ্গোতে প্রতি বছর ২৭ লাখ মানুষ সাপের ছোবলে আহত হয়, মারা যায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। সংস্থাটির এক রিপোর্টে দেখা গেছে, সাপের ছোবলে আহত বহু মানুষের পরবর্তীতে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কঙ্গোর জঙ্গলে বিষহীন একটি সাপ। অনেক মানুষকে বরণ করতে হয়েছে চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব। এ নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে দেশটির সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু জঙ্গলের আশেপাশে গ্রামের মানুষের বড় অংশটি মৎস্যজীবী, ফলে সেখানকার মানুষের নদী বা জঙ্গলের ভেতরে না ঢুকে জীবিকা লাভের বিকল্প উপায় তেমন নেই। মাছ ধরার জালে অনেক সময় উঠে আসে সাপ। তাছাড়া বহু বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সংঘাত এবং দুর্নীতির কারণে দেশটির অর্থনীতির অবস্থাও ভালো না। গত বছর এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে 'অ্যান্টি-ভেনম' বা বিষ-নিরোধী ওষুধের ব্যাপক সংকট রয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সাপে কাটা রোগী নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিষ-নিরোধী ওষুধ দেয়া যায় না, যে কারণে আক্রান্ত প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতে হয় অনেক সময়। তবে সাপের উৎপাতের কারণে প্রতিবছর মানুষের হাতে মারা পড়ে বহু সাপ। ডিআর কঙ্গোর একজন পরিবেশবিদ ও বন কর্মকর্তা জোয়েল বোতসোয়ানা বলছেন, স্থানীয় কৃষক আর জেলেদের হাতে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক সাপ মারা পড়ে। সম্পতি সেখানকার কৃষকেরা পিটিয়ে একটি মামবা সাপকে মেরে ফেলে। মামবা সাপের বিষ মানুষের স্নায়ুকে বিকল করে দেয়। এ সাপ এতই বিষধর যে ছোবল দেওয়ার পর বড়জোর ঘন্টাখানেক বাঁচে মানুষ। এর পরই রয়েছে গোখরা সাপের অবস্থান, ডিআর কঙ্গোতে মামবার পরই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গোখরার ছোবলে। সাপের ছোবল খাওয়া সেখানকার জেলেদের জন্য নিয়মিত ঘটনা, এজন্য বিষক্রিয়া ঠেকাতে প্রচলিত রীতি মেনে চলেন জেলেরা। স্থানীয় এক ধরণের ওষুধ ব্যবহার করেন অনেকে। স্থানীয় লতাপাতা আর মৃত সাপের মাথা চূর্ণ করে এক ধরণের পাউডার সদৃশ গুড়া বিক্রি করা হয় বাজারে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, সাপে কাটা মানুষের হাতে বা পায়ে রেজর দিয়ে কেটে এই পাউডার মাখিয়ে দিতে হয়। তবে এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায় বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সাপের বিষ বিক্রি করেও জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকে। অতি উচ্চমূল্যে বিভিন্ন সাপের বিষ কিনে নেয় দেশি-বিদেশী ওষুধ কোম্পানি। সেই সঙ্গে সাপের মাংসেরও কদর আছে দেশটিতে। খেতে সুস্বাদু আর সহজপ্রাপ্য নয় বলে বেশ দামে বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে। কঙ্গোতে সাপের বিষ নামানোর ওষুধ। একটি ছোট সাপের শুটকি তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কঙ্গোলিজ ফ্রাঁ মানে প্রায় আড়াই শো টাকায় বিক্রি হয়। তবে বেশির ভাগ সময় এসব সাপের কোন বিষ থাকে না।
যুদ্ধ, সংঘাত আর ইবোলা নিয়েই খবরের শিরোনাম হয় ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো। কিন্তু দেশটিতে দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ প্রতি বছর সাপের ছোবলে মারা যায়।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
৮০ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সীরা বেশি ঝুঁকিতে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন এর তথ্যে বলা হচ্ছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে আছেন। যারা বেশি ঝুঁকিতে, তাদের মধ্যে বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে অসুস্থ থাকা ব্যক্তিরা রয়েছেন। গবেষণা আরো বলছে মেডিকেল কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। মঙ্গলবার উহানের একটা হাসপাতালের পরিচারক মারা গেলে মেডিকেল কর্মকর্তারা যে কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন সেটা আবারো আলোচনায় আসে। ৫১ বছর বয়সী লিউ ঝিমিং ছিলেন উহানের সবচেয়ে ভালো হাসপাতালগুলোর একটির পরিচালক। এ পর্যন্ত যে কয়জন স্বাস্থ্য কর্মী মারা গেছেন লিউ ঝিমিং তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। হুবেই প্রদেশের উহান শহরটি দেশটির মধ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়া একটা শহর। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন বা সিসিডিসি এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এই প্রদেশে মৃত্যুহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে সারা দেশে এই হার শূন্য দশমিক চার শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে সব মিলিয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃত্যুহার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। মঙ্গলবার চীনের প্রকাশ করা সবশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে সেখানে মৃতের সংখ্যা ১,৮৬৮ জন এবং ৭২,৪৩৬ সংক্রমিত হয়েছে। চীনের কর্তৃপক্ষ বলছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ সেরে উঠেছে। গবেষণা থেকে কী জানা যাচ্ছে? সিসিডিসি এই প্রতিবেদন সোমবার প্রকাশ করে এবং চাইনিজ জার্নাল এপিডেমিওলোজি তে প্রকাশ করা হয়। ঐ প্রতিবেদনে চীনে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ ৭২,৩১৪ টা কেস যেগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একেবারে নিশ্চিত, সন্দেহজনক এবং যেগুলোর কোন লক্ষ্মণ ধরা পড়েনি। ভাইরাস সম্পর্কে আগের বর্ণনা, সংক্রমণের ধরন এর সব ফলাফল বৃহৎ আকারে নিশ্চিত করা হয়েছে। শিশুদের আক্রন্ত হওয়ার শঙ্কা খুব কম প্রতিবেদনে সমগ্র চীনে ৪৪,৬৭২ টা কেসের বিস্তারিত ভেঙ্গে বলা আছে। তার মধ্যে কিছু কিছু সারসংক্ষেপ এমন: মেডিকেল স্টাফ: মেডিকেল স্টাফ যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে ৩০১৯জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭১৬ জন নিশ্চিত এই রোগে আক্রান্ত। এবং ১১ই ফেব্রয়ারী পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। এই গবেষণা ভবিষ্যতের কি বার্তা দিচ্ছে? করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ার সময়কাল ছিল ২৩-২৬ জানুয়ারী। এই প্রতিবেদন তৈরি করার সময় ১১ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত সেটা ক্রমাগত ভাবে কমতে শুরু করে। প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে এই যে সংক্রমণ পরতির দিকে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তার মানে হতে পারে "পুরো শহরকে আলাদা করে ফেলা, জরুরি তথ্য উচ্চ মাত্রায় বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার করা যেমন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, সাহায্য নেয়া ইত্যাদি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের রেসপন্স টিমের কার্যক্রম এই মহামারী প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেছে"। কিন্তু লেখকেরা সতর্ক করে বলেছে অনেকেই ছুটি শেষ করে দেশে ফিরছে। দেশটির প্রয়োজন হবে প্রস্তুত থাকা সম্ভাব্য সব সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া। এই ভাইরাসের প্রতি চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল উহানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। যেটা কিনা হুবেই প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর। প্রদেশের অন্যান্য স্থান এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে তীব্র বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। প্রমোদতরীগুলোর কী করা হচ্ছে? জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে দুইটি উড়োজাহাজে করে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন সোমবার ভোররাতে টোকিওর হ্যানেডা বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পাঠানো বিমান ছেড়ে যায় বলে জানাচ্ছে কিওডো নিউজ এজেন্সি। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার কারণে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে আটকে ছিল ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জাহাজটিতে ৩৫৫ জনেরও বেশি লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনের বাইরে একক কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এই জাহাজেই। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন, এদের মধ্যে অন্তত ৪০জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের চিকিৎসা জাপানেই হবে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে প্রায় ৩,৭০০ যাত্রী নিয়ে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। এদিকে দু হাজার যাত্রী সমেত আরেকটি প্রমোদতরীকে অবশেষে ক্যাম্বোডিয়ার বন্দরে ভিড়তে দেয়া হয়েছে। জাহাজটি দিনের পর দিন সাগরে ভেসে ছিলো, কোন বন্দরই এটিকে ভিড়তে দিচ্ছিল না, কারণ তাদের সন্দেহ ছিলো এই জাহাজের যাত্রীরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। 'দ্য ওডিসি অব দ্যা এমএস ওয়েস্টারড্যামকে' পাঁচটি দেশের বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এটিতে ১,৪৫৫ জন যাত্রী এবং ৮০২ জন ক্রু ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে সাগরে প্রমোদবিহার করার কথা ছিল জাহাজটির। ১৪ দিনের এই বিহার শেষ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানী ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। থাইল্যান্ড ছাড়াও জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম ও ফিলিপিন্স এর আগে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি জাহাজটিকে। আরো পড়ুন: বোরকা নিয়ে মুখোমুখি এ আর রহমানের কন্যা ও তসলিমা নাসরিন মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশমের উপায় পঙ্গপাল: বাংলাদেশে ঝুঁকি কতটা? ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে কি বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ?
চীনের স্বাস্থ্যা কর্মকর্তারা ৪৪ হাজারের বেশি কোভিড-১৯আক্রান্ত ব্যক্তির বিস্তারিত নিয়ে একটি জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, বলা হচ্ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই এই রোগ নিয়ে বৃহত্তম জরিপ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পৈলানপুর গ্রামের একজন নারী ওঝার কাছে সাপের কামড়ের চিকিৎসা নিতে এসেছেন এরপর সেখানে চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সাপের কামড়ের কোন ঘটনা ঘটেনি, পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। এই আতঙ্কটি ছড়িয়েছে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পৈলানপুর এবং পাইকপাড়া গ্রামে। পৈলানপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ আজাদ হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, "ঈদের পর থেকেই দুইটা গ্রাম জুড়ে মানুষের মধ্যে সাপে কামড়ের আতঙ্ক। সবাই খালি বলে সাপে কামড়েছে। ওঝার কাছে এত মানুষ গেছে, যে তার দম ফেলার সময় নাই।" আরো পড়তে পারেন: সাপের কামড়: কত ভয়ানক হুমকি? সাপ দেখলে কী করবেন? সাপ কেন মানুষের ঘরে এসে বাসা বাঁধে ''অনেকেরই ঘুম থেকে উঠে অবশ লাগে, মাথা ঘুরায় দেখে মনে করছে তাদের সাপে কামড়েছে। কারো শরীরে দুইটা দাগের মতো আছে, কারো নাই। যারা বলছে, তাদের বেশিরভাগই মহিলা। সবাই খালি ওঝার কাছে ছুটতেছে,'' বলেন তিনি। তাদের অনেকের অভিযোগ, বালিশ ও কাথার ভেতর থেকে তাদের সাপে কামড়াচ্ছে। ঘটনার শুরু গত ঈদ উল আযহার পর থেকে। সে সময় গ্রামের একজন বাসিন্দা সাপের কামড়ে মারা যায়। সাপটিকে তার মশারির ভেতর দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মারেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর থেকেই অনেকে সাপের কামড় খেয়েছেন বলে দাবি করতে থাকেন। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা তল্লাশি করে কয়েকটি সাপ খুঁজে বের করে পিটিয়ে মারে। কিন্তু মানুষের মধ্যে সাপের কামড়ের আতঙ্ক কাটেনি। হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাসুম বলছেন, মানুষ সাপের কামড়ের এতো দাবি করলেও, সেরকম কোন চিহ্ন দেখা যায় নি। তিনি বলছেন, ''এই আতঙ্কের কথা শোনার পরেই আমি এসব গ্রামে গিয়েছি, আমাদের মেম্বাররা গিয়েছে। ঈদের পর একজন ব্যক্তি সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল, এটা ঠিক। কিন্তু এরপরে আর সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেনি।'' প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে ১শ মানুষ বিষধর সাপের দংশনের শিকার হন। তিনি বলছেন, ''মানুষ আতঙ্কে ওঝার কাছে যায়। ব্যবসায়িক কারণেই হোক, আর গুরুত্বের লোভেই হোক, সেও তাদের ঝাড়ফুঁক করে দেয়। কিন্তু এই ব্যক্তিদের পরীক্ষা করে আমরা দেখেছি, আসলে সাপের কামড়ের কোন অস্তিত্ব নেই।'' কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রামটিতে আড়াইশোর বেশি মানুষ দাবি করেছেন, তাদের সাপে কামড়েছে। যদিও তারা কেউ সেই সাপকে চোখে দেখেননি। সাপে কামড় দিলে সেখানে দুইটা দাঁতের দাগ থাকবে। এক্ষেত্রে কি সেরকম চিহ্ন আছে? পৈলানপুর গ্রামের মোঃ. আজাদ হোসেন বলছেন, ''কারো কারো দুইটা দাগের মতো আছে, বেশিরভাগেরই নেই। প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি কিভাবে দাগ হলো। পরে বুঝলাম, পোকামাকড়ের কামড়ে সেটা হতে পারে।'' ''আমার ভাইয়ের হাতে দুইটা দাগ দেখা যাওয়ার পরে সেও বলতে লাগলো, আমাকে সাপে কামড়েছে। তখন আমরা বলি, দেখি অপেক্ষা করে কি হয়। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। এরপর থেকে আমাদেরও ভয় কমতে শুরু করেছে।'' তিনি বলছেন, যারাই দাবি করেছে যে তাকে সাপে কামড় দিয়েছে, কেউ সেই সাপকে চোখে দেখতে পাননি। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ রাশেদা সুলতানা বলছেন, এটা পুরোটাই একটা মানসিক ব্যাপার, যেখানে সাপের কামড়ের কোন ব্যাপার নেই। তিনি বলছেন, ''খবরটি জানার পর ওই গ্রামে আমাদের মেডিকেল টিম পাঠিয়েছি। প্রথমে একজন মারা গেলেও, পরে যারা দাবি করছেন, তাদের তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন যে আসলে সাপের কামড়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং গ্রামের একজন ওঝা তাদের বিভ্রান্ত করছে। হয়তো সেই ওঝাই কোনভাবে তাদের শরীরে পিন দিয়ে ফুটো করে সাপের কামড়ের দাগ তৈরি করে ভীতি ছড়াচ্ছে। '' ''আমরা ওই ওঝাকে ডেকে সতর্ক করে দেয়ার পর গ্রামের মানুষের মধ্যে এ ধরণের আতঙ্ক অনেক কমে এসেছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, কেউ সত্যিই সাপের কামড়ের শিকার হলে হাসপাতালে আসার জন্য, যেন ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করার জন্য কেউ না যায়।'' সাপের কামড়ের এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার, মসজিদের ইমাম ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি উঠোন বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে সাপের কামড়ের লক্ষণ, কি করতে হবে, কোথায় চিকিৎসা পাওয়া যাবে, ওঝার কাছে না যাওয়ার ব্যাপারে গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মোঃ আজাদ হোসেন বলছেন, ''গত একটা মাস সবাই খুব সাপের ভয়ে ছিলাম। তবে এখন আস্তে আস্তে ভয় কাটতে শুরু করেছে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা সমাবেশে যে সাত দফা দাবি জানাবে বিএনপি ঢাকায় যেভাবে জমির দাম বেড়েছে তিন গুণ নারী অপরাধীদের শোধরাতে কারাগার কেন ব্যর্থ?
বাংলাদেশে কর্মকর্তারা বলছেন, ঝিনাইদহ জেলার দুইটি গ্রামের আড়াইশোর বেশি মানুষ দাবি করেছেন, তাদের সাপে কামড়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করের দৃশ্য। ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, মিরপুর রোড, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। গত তিনদিন ধরে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ সামাল দিতে বৃহস্পতিবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। আজ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছিলেন। আরো পড়ুন: 'কোন আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না' সব দাবী মেনে নিয়েছি, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সড়কে প্রাণহানি: বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশী আচরণ নিয়ে প্রশ্ন রাস্তায় মোটর সাইকেল আটকে কথা বলছেন ছাত্ররা। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমেছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সড়কে শত-শত যানবাহন আটকা পড়েছে। দীর্ঘ সময় পরিবহন না পেয়ে রিক্সা কিংবা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করছেন অনেকে। গত কয়েকদিনের মতো আজও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখছেন। শহরের বিভিন্ন মোড়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও সে তুলনায় পুলিশের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। এদিকে ঢাকার মিরপুরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট -এর সামনের রাস্তায় পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় গাড়ি আটকে লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। পুলিশের ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। ঢাকা শহর জুড়ে আজও পাবলিক বাস খুব একটা চলাচল করতে দেখা যায়নি। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় বের করেননি। যারা রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তাদের কেউ-কেউ বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করছে না। পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন নিরাপত্তা-হীনতার কারণে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহর এবং রাজশাহীতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: কে কীভাবে দেখছেন? সড়ক দুর্ঘটনা: যে কারণে ড্রাইভাররা এত বেপরোয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সমর্থন অভিভাবকদের
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবারও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুক্রবারে জুম্মাহর নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লিদের উপরে অতর্কিতে হামলা করে হত্যা করার এই পুরো ঘটনাটি নিজের ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছে হত্যাকারী। সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও ফুটেজটি দাবানলের মতন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখান থেকেই এই ভিডিওর স্থিরচিত্র ও হত্যাকাণ্ডের লাইভ ভিডিওর লিংক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি এতটাই ব্যাপক ভিত্তিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে যে, ভয়াবহ সেই ভিডিও সরিয়ে নিতে বা নামিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। ব্রেন্টন টারান্ট: ফেসবুকে লাইভ দেখিয়েছেন তার ভয়ংকর হামলা ভয়ংকর এই ঘটনায় আবারো টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউব-এর মতন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। বলা হচ্ছে, এসব প্লাটফর্ম ব্যাবহার করে চরম ডানপন্থী এই সব কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেয়া হলেও সাইটগুলো তা ঠেকাতে পারছে না। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী এই হামলাকারীর লাইভ ভিডিও দৃশ্য এতো ব্যাপক ভিত্তিতে ছড়িয়ে পড়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারীই এখন এই ভিডিও আর শেয়ার না দিতে অন্যদের প্রতি অনুরোধ করছেন। কারণ হিসেবে একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, হত্যাকারী ঠিক এটিই চেয়েছিল। চেয়েছিল, এটি ছড়িয়ে পড়ুক। কী শেয়ার হয়েছিল? হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি ব্যাপক হারে শেয়ার করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনার ঠিক ১০-২০ মিনিট আগে কেউ একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির ফেসবুক পেজটি শেয়ার করেছিল। সেই পেজে বলা ছিল যে, তিনি সরাসরি সম্প্রচার করবেন। আর সেই পেজে ঘৃণা-মাখানো একটি ডকুমেন্টও ছিল। নিউজিল্যাণ্ডে হামলার প্রতিবাদে কানাডায় বিক্ষোভ সেই ডকুমেন্টটি বিশ্লেষণ করে রবার্ট ইভান্স চিহ্নিত করে দেখিয়েছেন যে, সেখানে প্রচুর বিষয় ছিল, যার অধিকাংশই পরিহাসমূলক এবং অতি নিম্নমানের ট্রল ও মিম। মূলত মানুষকে বিভ্রান্ত ও দ্বিধান্বিত করতেই এরকমটি করা হয়েছিল বলে মনে করছেন রবার্ট ইভান্স। হত্যাকারী ব্যক্তি তার লাইভ ভিডিওতে একটি মিম-এর রেফারেন্সও দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে গুলি শুরু করার আগে ''সাবস্ক্রাইব টু পিউডাইপাই'' বা ''পিউডাইপাই সাবস্ক্রাইব করুন'' বলে জোরে চিৎকার করে উঠেছেন। হত্যাকাণ্ডটি সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার হয়েছে। তবে, পরে আসল ভিডিও ফুটেজটি ফেসবুক সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সেই ভিডিও ডাউনলোড করে অন্য আরো অনেক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করায় টুইটার ও ইউটিউবের মতন সাইটগুলোর মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও ফুটেজের কিছু অংশ অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম সহ পৃথিবীর আরো বিভিন্ন সংবাদপত্র এই ভিডিও প্রচার করে। মানুষের প্রতিক্রিয়া কী? আদালতে হাজির করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গণহারে মানুষ হত্যা করার এই সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও যদিও অসংখ্য মানুষ শেয়ার করেছেন, অনেকেই আবার এটিকে বিরক্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং ভিডিওটি না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন। ওমর সোলাইমান বলে একজন টুইটারে লিখেছেন, একজন সন্ত্রাসী আমাদের ভাই ও বোনেদের গুলি মেরে ফেলার এই দৃশ্য তোমরা প্লিজ ছড়িয়ে দিও না। ওই সন্ত্রাসী ওটাই চেয়েছিল। আর চ্যানেল নিউজের উপস্থাপক কৃষ্ণান গুরু-মূর্তি দু'টো ব্রিটিশ গণমাধ্যমের নাম নিয়ে তাদেরকে এই ভিডিও নামিয়ে নেবার তাগিদ দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর প্রতিক্রিয়া কী? এই ঘটনায় সকল প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা ও শোক জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হত্যাকাণ্ডের সেই ভিডিওটি তাদের সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ফেসবুক বলেছে, হত্যাকাণ্ডটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবার পর-পরই নিউজিল্যান্ডের পুলিশ তাদেরকে ঘটনাটি জানায় এবং জানার সঙ্গে সঙ্গেই তারা হত্যাকারীর ফেসবুক একাউন্ট ও ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে। ফেসবুক কেন ভিডিওটি সরাতে দেরি করেছে সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে পাশাপাশি ফেসবুক এটিও বলেছে যে, এই হত্যাকাণ্ডকে যারা সমর্থন করে বা প্রশংসা করে কোনো কমেন্ট করবে তারা সেগুলোও সরিয়ে নেবে। ইউটিউব-ও এক বার্তায় তাদের আন্তরিক শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে সহিংস ভিডিও সরিয়ে নেবার কথা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে আর কী হওয়া দরকার? সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিশেষজ্ঞ য. কিয়ারান গিলেস্পি বলেছেন, আসলে সংকটটা আরো গভীর। এটি শুধু একটি ভিডিওর ব্যাপার নয়। উগ্রপন্থী এরকম অজস্র কন্টেন্ট ইউটিউবে রয়েছে বলে তিনি ইউটিউবের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। ক্রাইস্টচার্চের হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সহ গোটা বিশ্বকে তাই, ইউটিউবে বর্ণবাদী ও ডানপন্থী বিষয়বস্তু বন্ধ করবার জন্য আরো তাগিদ বাড়বে বলেও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ন্যায্য বিতর্ক মি. গিলেস্পির কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের গবেষক ড. ভারত গনেশের কথাতেও। "এই ভিডিও নামিয়ে নেয়াটা অবশ্যই সঠিক কাজ। কিন্তু ডানপন্থী সংগঠনগুলো এমন সব বিষয়বস্তু নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ করে যেগুলোর সাথে এখনো যথার্থভাবে 'ডিল' করায় এসব মিডিয়া এখনো পারঙ্গম হয়ে ওঠেনি।" ড. গণেশ বলছিলেন ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও মতাদর্শ ছড়ানো হলেও বাক স্বাধীনতার নামে সেগুলোকে চালিয়ে দেবার প্রবণতা দেখা যায়।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন আর আহত হয়েছে আরো অন্তত ৪০ জন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সমাপনী পরীক্ষা না হলেও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। অতএব আমরা পিইসি পরীক্ষা নিচ্ছি না।" তবে সমাপনী পরীক্ষা না হলেও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। এর আগে গত ১৯শে আগস্ট কেন্দ্রীয়ভাবে পিইসি ও এবতেদায়ী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাব করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে পিইসি পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নেয়ার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবনাতেই আজ অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে পিইসি নেয়া সম্ভব হবে না বলে এ সম্পর্কিত মেধাবৃত্তিও এ বছর দেয়া হবে না। তবে উপবৃত্তি আগের মতোই চালু থাকবে। স্কুল খোলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, এর আগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকে সামনে রেখে তিনটি আলাদা পাঠ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো যেহেতু স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি হয়নি তাই সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান তিনি। তবে এ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসবে বলে জানান মি. হোসেন। তিনি বলেন, এখন অক্টোবর ও নভেম্বরকে সামনে রেখে পাঠ পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সেক্ষেত্রে স্কুল খুললে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিদ্যালয় প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেবে। কী উপায়ে পরীক্ষা নেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মি. হোসেন বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে সে সিদ্ধান্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা গ্রহণ করবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সিনিয়র সচিব বলেন, স্কুল খুলতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সেটি অনুসরণ করে স্কুল খুলতে হবে। তিনি বলেন, "স্কুল গুলোকে বলা হয়েছে তাদের নিজের মতো করে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করতে"। এক্ষেত্রে স্কুলের অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানানো হয়। বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হবে সেটি স্কুলগুলো নির্ধারণ করবে। এবছর দেশে ২৯ লাখের বেশি প্রাথমিক ও এবতেদায়ী পরীক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা।
করোনাভাইরাসের কারণে এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে না পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পিইসি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বৃহস্পতিবারের সংসদ নির্বাচন ব্রিটেনকে বেশ কয়েকজন ব্যতিক্রমী সদস্য এনে দিয়েছে। তাদের কয়েকজন সম্পর্কে আরো কিছু জানা যাক: মাড়ি ব্ল্যাক, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি মাড়ি ব্ল্যাক: কুড়ি বছর বয়সে সংসদ সদস্য। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি-র মাড়ি ব্ল্যাক ৩৫০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের সব চেয়ে কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হলেন। এই ২০-বছর বয়স্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এখন গ্লাসগো শহরের দক্ষিণে পেইসলি এবং রেনফ্রিশায়ার নির্বাচনী আসনের প্রতিনিধি। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবার জন্য নূন্যতম বয়স ২০০৬ সালে ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ করা হয়। এর আগে সব চেয়ে কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য ছিলেন আলবেমার্ল-এর ডিউক ক্রিস্টোফার মঙ্ক, যিনি ১৬৬৭ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে হাউস অফ কমন্স-এ আসন গ্রহণ করেন। মাড়ি ব্ল্যাক বব ডেলান এবং দ্য স্পাইস গার্লস-এর গান পছন্দ করেন। তিনি লেবার পার্টির সব চেয়ে নামী নেতাদের অন্যতম, পররাষ্ট্র বিষয়ে দলের মুখপাত্র ডগলাস আলেকজান্ডারকে পরাজিত করেন। স্টিফেন কিনোক, লেবার পার্টি স্টিফেন কিনোক: স্ত্রী ডেনমার্ক-এর প্রধানন্ত্রী। ওয়েলস-এর এ্যাবেরাভন নির্বাচনী আসনের লেবার দলের নতুন সংসদ সদস্য স্টিফেন কিনোক হচ্ছেন ডেনমার্ক-এর প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং-শ্মিড্‌ট এর স্বামী। মি: কিনোক পরিকল্পনা করছেন তিনি প্রতি সপ্তাহে সোমবার থেকে শুক্রবার লন্ডনে সংসদে তার কাজ করবেন, আর সপ্তাহান্তে নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। তাহলে তার সংসার জীবনের কী হবে? তিনি বিবিসিকে বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী এভাবেই জীবন কাটিয়ে অভ্যস্ত। পারিবারিক আর রাজনৈতিক জীবন এক সাথে চালানোটা মি: কিনোকের জন্য নতুন কিছু নয়। তার বাবা নিল কিনোক ছিলেন লেবার পার্টির নেতা আর তার মা গ্লেনিস কিনোক ইউরোপীয় পার্লামেন্ট-এর সদস্য ছিলেন। টিউলিপ সিদ্দিক, লেবার পার্টি টিউলিপ সিদ্দিক: বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। শুধু স্টিফেন কিনোক-ই কোন বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নন। লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক হ্যামপস্টেড এবং কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। লন্ডনে জন্ম গ্রহণ করা টিউলিপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে এবং দেশের স্থপতি শেখ মুজিবর রহমান-এর নাতনি। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। মিজ সিদ্দিক ১৬ বছর বয়সে লেবার রাজনীতির সাথে জড়িত হন, এবং চারজন সংসদ সদস্য-র সাথে গবেষক, উপদেষ্টা ইত্যাদি ভূমিকায় কাজ করেন। টিউলিপ ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। এ্যালান ম্যাক, ব্রিটেনের প্রথম চীন বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য এ্যালান ম্যাক। কনসারভেটিভ দলের প্রার্থী এ্যালান ম্যাক ব্রিটিশ সংসদে প্রথম চীন বংশোদ্ভূত সদস্য হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। মি: ম্যাক হচ্ছেন একজন প্রাক্তন কোম্পানি আইনজীবী যার বাবা-মা দক্ষিণ চীন থেকে ব্রিটেনে আসেন। তিনি দক্ষিণ ইংল্যান্ডের হাভান্ট নির্বাচনী আসনে অভিবাসন-বিরোধী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বিরোধী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেন।
একজন ২০-বছর বয়স্ক ছাত্রী, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বা বাংলাদেশের স্থপতির নাতনি।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
যুক্তরাজ্যে দুই ব্যক্তির মধ্যে নতুন ধরণের আরেকটি করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কৃত হয়। এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ১৪ দিনে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের অতি সত্ত্বর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরইমধ্যে এই ভাইরাসটি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়াইলি ম্যাখিজে সতর্ক করে বলেন, "তরুণ, আগে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন এমন ব্যক্তিরাও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।" তিনি বলেন, "এইডস মহামারির শুরুর দিকে যে অবস্থা পার করেছি, সেই একই অবস্থা আবার পার করতে পারবো না।" দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য বা ভ্যারিয়ান্টটি "দ্রুত ছড়ায়" এবং দেশটির অনেক এলাকায় এর সংক্রমণও বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো এটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করা হয়। 'বিস্ফোরক প্রাদুর্ভাব' নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির সাথে এর আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি ভাইরাসের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে। যদিও ভাইরাসটি দুটি আলাদা ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। দুটি ভাইরাসেরই একটি নির্দিষ্ট অংশে এন ফাইভ জিরো ওয়ান ওয়াই (N501Y) নামে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওই অংশটি দিয়ে মানুষের দেহের কোষকে আক্রান্ত করে ভাইরাসগুলো। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন: "আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ থাকা উচিত সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসটি।" আরো পড়ুন: "এই ভাইরাসটির বিস্ফোরকের মতো সংক্রমণের বিস্ময়কর রিপোর্ট রয়েছে এবং এর সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি হারও অত্যধিক।" ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে মি. হ্যানকক বলেন, নতুন ভ্যারিয়ান্টটি "খুবই উদ্বেগজনক" এবং যাদের কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের "অন্য যেকোন ব্যক্তির সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।" একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন যে, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে লাখ লাখ মানুষকে ক্রিসমাসের পরের দিন বা বক্সিং ডে থেকেই চতুর্থ পর্যায় বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধি-নিষেধের আওতায় আনা হবে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. সুসান হপকিন্স বলেন, "দুটি ভাইরাসই মনে হচ্ছে যে তারা অত্যন্ত সংক্রমণশীল।" কিন্তু তিনি বলেন যে, তারা এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আসা ভাইরাসটির ভ্যারিয়ান্ট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, তিনি "বেশ নিশ্চিত" যে কোয়ারেন্টিন এবং ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়ান্টটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। ওয়ারউইক মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক লরেন্স ইয়াং বলেন: "সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে যে বিধি-নিষেধ (হাত, মুখ, অন্যান্য স্থান বিষয়ক) রয়েছে তা নতুন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়াও ঠেকাবে।" "দেশ জুড়ে বিধি নিষেধ আরো কঠোর করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।" দক্ষিণ আফ্রিকায় কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে? বিবিসি নিউজের ফারুক চোথিয়া তার ব্যাখ্যায় বলেন, উৎসবের মৌসুমেও সরকার বিধি-নিষেধ কঠোর করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিখ্যাত গার্ডেন রুট সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স নামে একটি বিরোধীদল এবং কয়েকটি লবি গ্রুপ। তারা আদালতে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছেন যে, সৈকত বন্ধ করে দেয়া হলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বিচারকরা সরকারি সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছেন এবং বলেছেন যে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে সরকারের। ওয়েস্টার্ন কেপের প্রিমিয়ার অ্যালান উইন্ডি বলেন, প্রদেশের হাসপাতালগুলো এরইমধ্যে "মারাত্মক ধকলে" পড়েছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায়ও প্রদেশটিতে বর্তমানে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো পর্যন্ত ৯৫ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ- যা আফ্রিকায় সর্বোচ্চ।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, দেশটিতে আরো একটি নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে যাতে দুই জন আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
শনাক্তের বাইরে থাকা যক্ষ্মা রোগীরা কিংবা যারা চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ করেননা তাদের কারণেই এটি বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। অর্থাৎ সাধারণ চিকিৎসা তাদের জন্য আর কার্যকর থাকছেনা, শনাক্ত করার পর তাদের জন্য প্রয়োজন হয় আরও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার - এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বা এনটিপির হিসেবে ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ত্রিশ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় বিশ হাজার। ঢাকায় আইসিডিডিআরবির একজন বিজ্ঞানী ড: সায়েরা বানু বলছেন বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু আক্রান্ত অনেক রোগী ওষুধের ফুল কোর্স সেবন না করায় পরিণত হচ্ছেন ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীতে। অর্থাৎ তখন তাদের জন্যে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত চিকিৎসার। আরো পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষা নির্মূলের পরিকল্পনা এককভাবে নির্বাচনের কথা বললেন জেনারেল এরশাদ আইসিডিডিআরবির একজন বিজ্ঞানী ড: সায়েরা বানু সায়েরা বানু বলছেন, "এদের মধ্যে বছরে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ রোগী ধারণা করা হয় যে তাদের ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা হতে পারে। এদের সবাইকে শনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছিনা। যাদের শনাক্ত করা যায়নি তাদের মাধ্যমেই এটা ছড়াতে পারে"। কিন্তু সেটা কতটা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে? ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কি বাংলাদেশে আছে? জবাবে মিজ. সায়েরা বানু বলেন, "ভয়ের কোন কারণ নেই। কারণ শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা চলে এসেছে যার মাধ্যমে দু ঘণ্টায় পরীক্ষা করা যায়। এ ধরণের ১৯৩টি যন্ত্র বাংলাদেশে এসেছে। আর এখন বাংলাদেশই এমন পদ্ধতি বের করেছে যাতে নয় মাসেই রোগীদের ভালো করা যায়"। ১৮৮২ সালে রবার্ট কক্স নামে একজন বিজ্ঞানী বায়ুবাহিত এ রোগটির জীবাণু চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রথমে ফুসফুসে ও পরে শরীরের অন্য অংশেও প্রবেশ করে এ জীবাণু। একসময়ের ঘাতক ব্যাধি যক্ষ্মার চিকিৎসায় এখন সাফল্য পাওয়ার দাবি করে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও কমছেনা রোগী বরং নিত্য নতুন ধরনের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ কী? জবাবে যক্ষ্মা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো: আবু রায়হান বলেন, "যাদের ডায়াগনোসিস হয়না বা ঔষধ খায়না তাদের কারণেই ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসা না হলে প্রতিটি রোগী আরও দশজনকে আক্রান্ত করাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ৫ হাজার রোগীর মধ্যে চার হাজার শনাক্তের বাইরে"। আর এ চার হাজার রোগীর প্রতিজন বছরে দশজনকে আক্রান্ত করতে পারেন-এ আশংকা থাকে সবসময়ই। যক্ষ্মা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো: আবু রায়হান। যদিও জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নাজিস আরেফিন সাকী বলছেন দেশের প্রায় সব জায়গায় যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। "উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিক, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, গার্মেন্ট কর্মীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, জেল খানায় যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্তদের জন্য নয়টি বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে"। মি. আরেফিন বলছেন, কার্যকর কিছু ব্যবস্থা নেয়ায় গত কয়েক বছরে ঔষধ প্রতিরোগী যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসতে শুরু করেছে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে চিকিৎসক ও গবেষকরা বলছেন শিশু যক্ষ্ণা রোগী শনাক্তকরণের পাশাপাশি দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ানো গেলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আরও সাফল্য পাবেই বলে মনে করছেন তারা। আরো পড়ুন: নতুন পাঁচ 'স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়' বাংলাদেশ স্বৈরশাসন প্রশ্নে জার্মান সমীক্ষা প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ স্বৈরশাসন তালিকায় বাংলাদেশ বিতর্ক: কীভাবে দেখছে বিএনপি?
শনাক্তের বাইরে থাকা যক্ষ্মা রোগীরা কিংবা যারা চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ করেননা তাদের কারণে বাংলাদেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা এমডিআর।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মানচিত্রে ভাসানচরের অবস্থান সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তাদের নিয়ে এই শীতের আগেই ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মতি না দেয়ায় সেই উদ্যোগ থমকে গেছে। এদিকে, ভাসানচরে স্থানান্তরের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন তাদের অনেকে। তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে। আরও পড়ুন: 'শীতের আগেই এক লাখ রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে' ভাসানচরে যেতে চাইছেন না রোহিঙ্গারা 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা' রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার প্রস্তাব কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জোর তৎপরতা শুরু করা হয়েছিল। কিছুদিন আগেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবার শীতের আগেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু করার তাদের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছিলেন। মি: আলম এটাও উল্লেখ করেছিলেন যে, এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য ভাসানচর পুরোপুরি প্রস্তুত। গত বর্ষা মৌসুমের আগেই সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে শুরু করতে চেয়েছিল-সেটা তখন সম্ভব হয়নি।এখন আবার শীতের আগে স্থানান্তরের চেষ্টাও থমকে গেছে। ভাসানচরের রোহিঙ্গা আবাসনে যা যা থাকছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান বলেছেন, স্থানান্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মতি মিলছে না। "কিছু পরিবার স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছিল, সে ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু আমরা এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে জাতিসংঘ এবং ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর নির্ভরশীল, সেজন্য আমরা তাদের সাথে বসেছি। কয়েক দফা বৈঠকের পরও জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআর এবং আইওএমসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত সেখান যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয় নাই। যার কারণে আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি নাই।" "সত্যি কথা বলতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মতি না পাওয়ায় এটা আটকে আছে।" তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ৬৪০টি পরিবারের সাড়ে তিন হাজার জন ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য স্বেচ্ছায় তালিকাভূক্ত হয়েছিলেন, এরপর তাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠক করে সপ্তাহখানেক আগে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সম্মতি দেয়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাঠে নামা ছাড়া আর কিছু ভাবছি না: সাকিব চাকরি হারানোর ভয় জেঁকে বসেছে গণমাধ্যমে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যা নেয়া যাবে না টিপু সুলতানের নাম কি মুছে ফেলতে চাইছে বিজেপি এখন এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রোহিঙ্গা সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির একটি বৈঠক ডাকা হচ্ছে বলে মন্ত্রী ডা: রহমান জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ সরকার স্থানান্তর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, এই স্থানান্তর স্বেচ্ছায় হতে হবে। সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পর তা করতে হবে। সেজন্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে আরও সময় নেয়ার কথা বলছে। বিমান থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আবাসন এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ার একটি ক্যাম্প থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী বলছিলেন, বাংলাদেশের কর্মকর্তারা স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে গত দুই সপ্তাহে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য তালিকভুক্ত হতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। "ভাসানচরে যেতে হলে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করাসহ মৌলিক অধিকারগুলোর কি হবে-তার বিস্তারিত আগে তাদের জানাতে হবে।" কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে করেন শিউলী শর্মা। তিনি বলছিলেন, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ প্রয়োগ সঠিক হবে না। প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান কোন চাপ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। "চাপ প্রয়োগের কোন বিষয় নাই। স্বেচ্ছায় না গেলে কাউকে জোর করা যাবে না। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোন বল প্রয়োগ করা হবে না।" মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে যারা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পে আছেন, তাদের মধ্যে এক লাখ লোককে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ আটকে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সাকিব আল হাসান না থাকায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করা হয়েছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্ব দলে ডাক পেয়েছেন নাজমুল অপু ও মোহাম্মদ মিথুন। দলে নতুন মুখ আছেন আরিফুল হক ও খালেদ আহমেদও। আরো পড়ুন: বাংলাদেশ -জিম্বাবুয়ে: টাইগারদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নাকি শক্তিমত্তা? 'জাতীয় দল নিয়ে ভাবিনি, খেলা নিয়ে ভেবেছি' 'রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এখনও চলছে গণহত্যা' তল্লাশির ভিডিও করার অধিকার কি পুলিশের আছে? তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল হক বাদে চলতি মৌসুমে প্রথম শ্রেণীর ঘরোয়া ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী প্রথম ১০ জনের মধ্যে কারো জায়গা হয়নি দলে। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক আলোচিত নাম তুষার ইমরান। চুয়াল্লিশ রান করে গড়ে ১১,০০০ -এর বেশি রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। চলতি বছরেই দুটি জোড়া শতক হাঁকিয়েছেন ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমার তুষার ইমরান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৩ ও লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৭.৮৭ গড় নিয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ১১টি টেস্ট ম্যাচ ও ৫৪ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সাব্বির রহমান। এর আগে মার্শাল আইয়ুবের মতো ক্রিকেটারদেরও জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ বলে বিবেচনা করা হতো, তবে তিনি কেবল তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ৫ জন সূত্র: ক্রিকইনফো চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী৫ জন সূত্র: ক্রিকইনফো কারা সুযোগ পেয়েছেন টেস্ট দলে আর কারা নেই? বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের দলে ডাক পেয়েছেন চারজন নতুন মুখ আরিফুল হক, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল ইসলাম অপু। মুস্তাফিজুর রহমানও ফিরেছেন টেস্ট দলে। বাদ পড়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান, দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রুবেল হোসেন। ঘরোয়া ক্রিকেটকে কতটা গুরুত্বের সাথে নেয় জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়ে থাকে। তবে একটা ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সামর্থ্য কতটা আছে ও বাংলাদেশকে অন্তত পাঁচ বছর যাতে সার্ভিস দিতে পারে এটা ভাবা হয় দল গড়ার সময়।" তুষার ইমরান সম্পর্কে তিনি বলেন, "এ দলের ক্রিকেটে তুষার ইমরানকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল সেখানে তুষার ভালো করতে পারেনি।" "বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিকল্পনা হয় একটু বছর হিসাব করে। তার মানে এই না তুষার ইমরানের ঘরোয়া ক্রিকেট আমরা খেয়াল রাখি না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেকনিক্যাল দিকটাও আমরা লক্ষ্য রাখি।" ক্রিকেটার নেয়ার সময় তিন বছরের একটা পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। ম্যানেজমেন্ট ও সিলেক্টর মিলে এটা তৈরি করেন। মি: নান্নু বলেন, "এনসিএলের প্রথম থেকে তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত দেখলে দেখবেন কতগুলো ক্রিকেটার ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করছে অহরহ সেক্ষেত্রে এসব বিবেচনা করে স্কোয়াড তৈরি তো কঠিন। আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার কথাই আমরা সবার আগে মাথায় রাখি।" সেক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেই শিখতে হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের? ক্রিকেট দলের এই নির্বাচক বলেন, "ঘরোয়া ক্রিকেটের ভিত্তি শক্ত না হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করা কঠিন। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট বা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট দেখে আমরা খেলোয়াড় নেই।" শেষ ওয়ানডের জন্য স্কোয়াডে সৌম্য সরকার, কী আছে ফজলে মাহমুদের ভাগ্যে? বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। তবে ৩০ বছরে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ফজলে মাহমুদ টানা দুই ম্যাচে কোনো রান না করেই ফিরে গিয়েছেন সাজঘরে। এদিকে তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারকে। এটা কী ফজলে রাব্বির মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটিয়ে আসা ক্রিকেটারদের ওপর বাড়তি চাপ এনে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফজলে রাব্বির পারফর্ম করতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। ফজলে রাব্বির রান করতে না পারা ও সৌম্য সরকারের সুযোগ পাওয়া নিয়ে মি: নান্নু বলেন, "আমি এমন দুর্ভাগ্য দেখিনি যে পরপর দু ম্যাচে রান করতে না পারা, তবুও ডমেস্টিক পারফরম্যান্স ভালো ওর, ক্রিকেট খেলায় কেউই বলে কয়ে রান করতে পারে না।" সৌম্যকে ডাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, "সৌম্য সরকারকে ডাকার একমাত্র কারণ ও আমাদের পুলের ক্রিকেটার সামনে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ২৪ জন ক্রিকেটারের একটা পুল গড়া হয়েছে।"
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়েছে আজ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
প্রতিবেশী ওড়িশা দাবি তুলেছিল যে রসগোল্লার 'জি আই' তাদের প্রাপ্য অবশেষে বিতর্কের অবসান হয়েছে, বাঙালির অন্যতম প্রিয় মিষ্টি রসগোল্লা যে বাংলারই, সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে বিতর্ক চলার পরে 'জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেশন' বা 'জি আই' ট্যাগ দেওয়া হয়েছে 'বাংলার রসগোল্লা'কে। ভারত সরকারের পেটেন্ট অফিস আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিচার বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোন বিশেষ জিনিস বা নাম কোন অঞ্চলের বিশেষত্ব, সেই অনুযায়ী সেটিকে মেধাস্বত্ত্ব বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির ভৌগোলিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে অন্য কেউ সেই স্থান-নামের সঙ্গে মিশিয়ে কোনো জিনিস বিক্রি করতে পারে না। এর আগে দার্জিলিং চা যেমন জি আই ট্যাগ পেয়েছে। "শুধু ছানা দিয়ে তৈরি যে গোল মিষ্টি রসে জারিয়ে তৈরি হয়, সেটির উদ্ভাবক যে আমাদেরই পূর্বপুরুষ নবীন চন্দ্র দাস- সেটা আমরা সবাই জানতাম। কিন্তু আজ তার স্বীকৃতি পেলাম। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যের রসগোল্লাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হল," বলছিলেন কলকাতার মিষ্টি বিক্রেতা কেসি দাসের বর্তমান কর্ণধার ধীমান দাস। প্রতিবেশী ওড়িশা দাবি তুলেছিল যে রসগোল্লার 'জি আই' তাদের প্রাপ্য, কারণ পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে বহু শতক ধরে এই মিষ্টি বছরে অন্তত একবার ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। ওড়িশার বিখ্যাত সাময়িকী পৌরুষের সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ অসিত মোহান্তি এর আগে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, "উনিশ শতকের মাঝামাঝি বহু বাঙালি পরিবারে ওড়িয়ারা পাচকের কাজ করতেন, তাদের ঠাকুর বলা হতো"। "এরাই রসগোল্লার রেসিপি ওড়িশা থেকে বাংলায় নিয়ে গেছেন - বহু গবেষণাতেও তার সমর্থন মিলেছে। বলা যেতে পারে, রসগোল্লার উৎপত্তি ওড়িশাতেই, তবে তা জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলায়।" কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার নথি প্রমাণ হাজির করে বলেছিল, পুরীতে যে মিষ্টি দেওয়া হয়, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লার অনেক ফারাক রয়েছে। উত্তর কলকাতায় একশো বছরেরও বেশী সময় ধরে রসগোল্লা বিক্রি হয় চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভান্ডারে। দোকানটির বর্তমান মালিক নিতাই চন্দ্র ঘোষ জানাচ্ছিলেন, "রসগোল্লাতো কলকাতার বাইরে সব জায়গাতেই এখন তৈরি হয়। কিন্তু যে টিমটি রসগোল্লা নিয়ে সার্ভে করার জন্য সারা দেশে ঘুরছিলেন, তারা এখানে এসে আমাদের দোকানে রসগোল্লা খেয়েই বলেছিলেন যে সেই প্রথম তারা আসল রসগোল্লা খেলেন। ওই একটা মন্তব্যেই বোঝা যায় যে বাংলার রসগোল্লার বিশেষত্বটা।" কেসি দাস সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ধীমান দাসের কথায়, "এখানে যে রসগোল্লা তৈরি হয়, তাতে শুধুই ছানা থাকে। কিন্তু অন্য জায়গায় ময়দা বা খোয়া-ক্ষীর মিশিয়ে একটা মিষ্টি তৈরি করে বাঙালি রসগোল্লা নামে বিক্রি করে। এই জি আই ট্যাগের পরে সেটা বন্ধ হবে। আমাদের যে রেসিপি, সেটারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল। ছানাটা কীভাবে তৈরি হচ্ছে, তার ওপরেই রসগোল্লার স্বাদ নির্ভর করে।" মি. নিতাই দাসের কথায় অবশ্য ছানা তৈরিতো অনেক পরের ব্যাপার, গরু কী খাচ্ছে, তার প্রজনন ঠিক কেমন, সেখান থেকে রসগোল্লার মান তৈরি হতে শুরু করে। দুধটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তৈরি হওয়ার পরে রসগোল্লা খাওয়ারও কায়দাটা জানা দরকার। "আলতো করে দুই আঙুলে ধরে ধীরে ধীরে কামড় দিতে হবে - গপগপ করে খেলে চলবে না। রসগোল্লা খাওয়া শেষ হলে রসে সামান্য চুমুক - তবেই আপনি রসগোল্লাটা পুরো উপভোগ করতে পারবেন।" "আর রসগোল্লা খাওয়ার পরে তো কোনোমতেই জল খাওয়া চলবে না," জানাচ্ছিলেন ছয় পুরুষ ধরে রসগোল্লা ব্যবসায় রয়েছে যে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভান্ডার, তার মালিক নিতাই চন্দ্র ঘোষ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: রোহিঙ্গা নির্যাতন: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাফাই বিশ্বকাপ থেকে ইতালির বিদায়, বুফনের পদত্যাগ সেক্সের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদেরই বেশি
জিনিসটা মিষ্টি, কিন্তু তা নিয়েই শুরু হয়েছিল তিক্ততা - ভারতেরই দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মধ্যে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ধুমপানও বাড়ছে, বলছে মানস। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ আজ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। মানসের সভাপতি ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ১৫ বয়সোর্ধ্ব ৪৩ শতাংশ মানুষ তামাকে আসক্ত। তামাক গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পনের শতাংশ নারী নানা ধরণের মাদকে আসক্ত বলেও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে বলে জানান ডা. চৌধুরী। তিনি বলেন, ৫ বছর আগেও এই সংখ্যা বেশ খানিকটা কম ছিল। মানসের সভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরী। তবে তামাক ব্যবহারকারী নারীদের মধ্যে অধিকাংশই এখনো ধোঁয়াহীন তামাকই ব্যবহার করেন। তবে পরোক্ষভাবেও অনেক নারী তামাকের ধোঁয়ার শিকার হচ্ছেন। গবেষণার তথ্যমতে, কর্মক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ এবং জনসমাগমের স্থানে ২১ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। "নারীরা শুধু পরোক্ষভাবেই নয়, প্রত্যক্ষভাবেও তামাক গ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়ছে" বলেন ড. চৌধুরী। সরকারীভাবে কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাদক বর্তমানে ইয়াবা। ড. চৌধুরী বলেন, ফেন্সিডিলের সরবরাহ কিছুটা কমলেও মিয়ানমার থেকে অবাধে ইয়াবা এসে দেশে সয়লাব হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আগের চেয়ে সহজলভ্য হওয়ায় মাদকাসক্তরাও ইয়াবার দিকে ঝুঁকছে। আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানের জন্য মিছিল কড়া নিরাপত্তার মাঝে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে তামাক এবং মাদকের ব্যবহার বেড়েছে বলে জানাচ্ছে মাদকবিরোধী সংগঠন, মানস।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বর্ধমানের এই বাড়িটিতে বিস্ফোরণে দু'জন নিহত হয় চার্জশিটে জামায়েতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, সহিংসতা ও জঙ্গী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি কট্টরপন্থী শরিয়া-ভিত্তিক ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। ঘটনার প্রায় ছ'মাসের মাথায় পেশ করা ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গী কার্যকলাপ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল বলেই জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র জঙ্গীরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ঝাড়খন্ডে প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছিল। চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে মোট ২১জনের নাম রয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ৪জন বাংলাদেশী নাগরিক। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে কেবল ১৩জনই গ্রেফতার হয়েছেন, ৮জন এখনও পলাতক রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গী কার্যকলাপ, প্রশিক্ষণ, নিয়োগ, নাশকতা এবং ষডযন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে এদিন তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশী নিরাপত্তা বেষ্টনী ২০১৪-র ২রা অক্টোবর কলকাতার অদূরে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ভয়ঙ্কর ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)-র বিস্ফোরণ হয়। তাতে মৃত্যু হয় শাকিল গাজি এবং করিম শেখ নামে দুই ব্যক্তির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ওই বছরের ৯ অক্টোবর ঘটনার তদন্তের ভার নেয় এনআইএ, পরে তারা তদন্তের জন্য বাংলাদেশেও সফর করেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও বর্ধমানে ওই ঘটনাস্থল ও ওই জেলারই একটি মাদ্রাসা, যেখানে জঙ্গী কার্যকলাপ চালানো হত বলে অভিযোগ – তা পরিদর্শন করেন। এনআইএ-র তদন্তে ক্রমশ উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গী নেটওয়ার্কের কথা। বর্ধমানের পাশাপাশি নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রামে মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গী প্রশিক্ষণের কথাও প্রকাশ্যে আসে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, আসাম ও ঝাড়খণ্ডেও এর শিকড় খুঁজে পান তদন্তকারীরা।
ভারতে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করতে গিয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ আজ দাবি করেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়েই ওই জঙ্গী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছিল।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মুল্ক ছবিতে অভিনেতা ঋষি কাপুর ওই পরিবারের একটি ছেলে সন্ত্রাসবাদী পরিচয়ে নিহত হওয়ার পর গোটা পরিবারের ওপর দিয়ে যেভাবে ঝড় বয়ে যায়, তা নিয়েই এই সিনেমার গল্প। সত্যি ঘটনার ওপর নির্ভর করে তৈরি এই ছবিটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অনেকেই, অ্যাক্টিভিস্ট বা সমাজকর্মীরা মিডিয়াতে কলম ধরে ব্যাখ্যা করছেন কেন মুল্ক তাদের চোখে জল এনে দিয়েছে। আবার পাশাপাশি ছবির পরিচালক অনুভব সিনহাকে এই অভিযোগও অনেকের কাছেই শুনতে হচ্ছে যে তিনি মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল কিংবা মাফিয়া ডন দায়ুদ ইব্রাহিমের টাকায় ছবি বানান! কিন্তু কেন বলিউডের একটি ছবিকে ঘিরে ভারতে এই তর্কবিতর্ক আর চায়ের কাপে তুফান? বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'এটাই মোদির নৃশংস নতুন ভারত': রাহুলের টুইট মুসলিম হত্যার বিরুদ্ধে ভারত জুড়ে নাগরিক বিক্ষোভ ভারতের মহারাষ্ট্রে পাঠ্যবই থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ মুল্ক ছবির একটি দৃশ্য গত ৩রা আগস্ট সারা ভারতে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অনুভব সিনহার সিনেমা মুল্ক, যিনি এর আগে তেরে বিন বা রা-ওয়ানের মতো সম্পূর্ণ বিনোদনধর্মী ছবি বানানোর জন্যই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মুল্ক ছবিতে তিনি এনেছেন ইসলামোফোবিয়ার কাহিনী, যে পরিবারের একটি ছেলে জঙ্গী হয়ে যায় সমাজে তাদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের কাহিনী। ছবির সংলাপে অভিনেতা ঋষি কাপুরকে বলতে শোনা যায়, "যতদিন পাকিস্তানের জয়ে ভারতে একটি মুসলিম পরিবারও উল্লাস করবে ততদিন তাদের মহল্লার দেওয়ালে পাকিস্তানি লেখা থাকবেই।" কিংবা আদালতে সরকারি কৌঁসুলি বলেন, "মুসলিম পরিবারে অনেক বাচ্চাকাচ্চা হয় বলে তাদের এক-আধটাকে জিহাদের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়।" সম্ভবত এ কারণেই সাংবাদিক সাবা নাকভি এই ছবির রিভিউ লিখতে গিয়ে লিখেছেন, "মুল্ক অনেক অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলেছে - এবং যখন ভারতের চল্লিশ লক্ষ বাসিন্দার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে তখন এই ছবি বোধহয় আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।" বাঁদিক থেকে : মুল্কের অভিনেত্রী তাপসী পান্নু, পরিচালক অনুভব সিনহা ও অন্যতম অভিনেতা রজত কাপুর অ্যাক্টিভিস্ট রানা সাফভি লিখছেন, ছবির প্রোটাগোনিস্ট মুরাদ আলি - যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋষি কাপুর - তাকে যেভাবে ভারতের জন্য দেশপ্রেম প্রমাণ করতে হয় তাতে তার চোখ বারে বারে ভিজে উঠেছে। 'মাদারিং আ মুসলিম' বইয়ের লেখিকা ও গবেষক নাজিয়া এরাম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এই ছবিতে সাঙ্ঘাতিক একটা সংলাপ ব্যবহৃত হয়েছে, আমার ঘরেই আমাকে স্বাগত জানানোর তুমি কে হে? এটা তো আমারও ঘর। অর্থাৎ হিন্দুরা বিরাট উদারতা দেখিয়ে ভারতে মুসলিমদের থাকতে দিযেছে - এই রেটোরিকটার ঝুঁটি ধরে নাড়া দিয়েছে এই সিনেমা।" "ছবির দ্বিতীয় যে জিনিসটা আমাকে ভাবিয়েছে তা হল সন্ত্রাসবাদ মানে শুধু কারও জীবন নেওয়া নয়, রাজনৈতিক বা সামাজিক ফায়দা লোটার জন্য যখন কাউকে ভয় দেখানো হয়, হুমকি দেওয়া হয় সেটাও কিন্তু সন্ত্রাসবাদ!" ফলে ছবির মুক্তির আগে থেকেই কেন পরিচালক অনুভব সিনহাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোল হতে হচ্ছে, তা অনুমান করা কঠিন নয়। লেখিকা নাজিয়া ইরামের মতে মুল্ক সন্ত্রাসবাদেরও নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে কেন দায়ুদ ইব্রাহিমের টাকায় ছবি বানাচ্ছেন বা পাকিস্তানের দালালি করছেন - এই জাতীয় অভিযোগের জবাবে তিনি অবশ্য খোলা চিঠি লিখে বলেছেন, "আপনাদের মনিবদের জন্য আমি এই ছবি বানাইনি।" বিবিসিকেও মি সিনহা বলছিলেন, পরিচালক হিসেবে তার কাজ প্রশ্ন তোলা, উত্তর দেওয়া নয়। তার কথায়, "অনেকে ছবিটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখলেও আসলে এটা রাজনীতির ছবি নয় - বরং আবেগের ছবি, কোর্টরুম ড্রামার ছবি। হ্যাঁ, 'মুল্ক' প্রশ্ন তুলেছে ঠিকই - কিন্তু উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেনি। উত্তর খোঁজার ভার দর্শকেরই।" ছবির অন্যতম অভিনেত্রী তাপসী পান্নু আবার ছবি রিলিজ করার সময়েই সরাসরি বলেছিলেন, ভারতে একটা বিশেষ ধর্মের মানুষকে যেভাবে আক্রমণের নিশানা করা হচ্ছে সেটাই তাকে এই ছবি করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। নাজিয়া এরামও মনে করেন, ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের সূক্ষতাকে দারুণ ভারসাম্যে ধরেছে এই ফিল্ম। মুল্ক ছবির প্রোমোশনে ঋষি কাপুর তিনি বলছেন, "ছবির শুরুতেই দেখি মুসলিম পরিবারে উৎসব আর খানাপিনা চলছে - আর তাদের নিরামিশাষী হিন্দু পড়শীরা বলছে আমরা তো ওদের বাড়িতে খাই না।" "আবার একই ছবিতে দেখি বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় সেই হিন্দু প্রতিবেশীরাই ওই পরিবারটিকে সারা রাত জেগে রক্ষা করেছিল। এই জটিল সহাবস্থানের রসায়নেই কিন্তু লুকিয়ে আছে আমাদের ছেলেবেলা!" সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে লেখালেখি বা আলোচনা কম হয়নি। কিন্তু সেই আবহে একটি মুসলিম পরিবারের চোখে ভারত নামক মুল্কের চেহারা কীভাবে বদলে যাচ্ছে, তারই মর্মস্পর্শী গল্প বলেছে এই সিনেমাটি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন : নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: কী ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে? জিগাতলা-সায়েন্স ল্যাব 'ঠান্ডা', অশান্ত বাড্ডা 'শহীদুল আলমকে একদল লোক তুলে নিয়ে গেছে'
ভারতে দিনচারেক আগে মুক্তি পাওয়া একটি বলিউড মুভি 'মুল্ক' যেভাবে বেনারসের একটি মুসলিম যৌথ পরিবারের জীবনকে তুলে ধরেছে তা দেশ জুড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
শিলারকে অভিবাদন জানাচ্ছেন নাথান লায়ন। আলোচনায় মূল অধিনায়ক টিম পেইনের সাথে যুগ্মভাবে অধিনায়কত্ব করার দায়িত্ব দেয়া হলো সাত বছর বয়সী শিশুটিকে। "আমরা আপনাকে পেয়ে খুশি, টিম পেইনের সাথে কাজ করে ভালো খেলে সুন্দর একটি সপ্তাহ কাটান আপনি," আলোচনায় বলছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ফুটবলকে কখন টপকালো ক্রিকেট? বাংলাদেশের কাছে হেরে তোপের মুখে অস্ট্রেলিয়া আর্চি শিলার, ৭ বছর বয়সী শিশু আজ মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে টসে অংশ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের সাথে অনুশীলনে আর্চি শিলার। ভারতের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে দলের ১৫তম সদস্য হিসেবে সুযোগ পেয়েছে আর্চি। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইনের সাথে যুগ্মভাবে অধিনায়কত্ব করবেন তিনি। ভারতের অধিনায়ক ভিরাট কোহলির উইকেট নিতে চান আর্চি শিলার। অস্ট্রেলিয়ার সাথে পাকিস্তানের সিরিজ যখন চলছিল তখন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর্চি শিলারকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে তাকে বলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর্চি তাকে উত্তর দেন, সুযোগ পেলে বিরাট কোহলির উইকেট নেবেন তিনি। মেলবোর্নে টিম পেইন ও বিরাট কোহলির সাথে আর্চি শিলার। আর্চি শিলার জন্মের পর থেকে হৃদপিন্ডে সমস্যা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন, তার চৌদ্দবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। শিলারের স্বপ্ন ক্রিকেটার হওয়া। তাই 'মেক আ উইশ' ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার সাথে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই উদ্যোগ নিয়েছে। অনিয়মিত হৃদকম্পনের কারণে খুব বেশি ক্রিকেট খেলা হয় না তার। আর্চি শিলার তার পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত বন্ধুদের সাথেও খেলতে পারেন না। স্কুলে গিয়ে মাঝে মাঝে খেলেন তিনি। তার স্কুল প্রাঙ্গনে লেগ স্পিনার হিসেবে নাম আছে। বিরাট কোহলিকে নিজ দলের একাদশ দিচ্ছেন আর্চি শিলার তার বাবা একদিন তাকে জিজ্ঞেস করেন - কী হতে চান। তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হতে চান। তাই 'মেক আ উইশ' ফাউন্ডেশন তার এই ইচ্ছাকে প্রাধাণ্য দিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে উদ্যোগ নিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে। শিলার আজ টসের সময় টিম পেইনকে উপদেশ দেন, "ছক্কা হাকাও এবং উইকেট নাও।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দেখে নিন পূর্ববর্তী ফলাফল 'প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না' 'নির্বাচন প্রার্থীদের জন্য একটি উচ্চমানের ব্যবসা'
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল এক সাত বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে ঘিরে টিম মিটিং দিয়ে দিন শুরু করে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
রবিবার দুপুরে হওয়া ঐ দুর্ঘটনায় কিশোরীর দুইজন আত্মীয় মারা যায় ২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন দলের একজন আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে ঐ কিশোরী। ১৯ বছর বয়সী ঐ কিশোরী তার আইনজীবী এবং দু'জন আত্মীয়কে নিয়ে গাড়ি করে যাওয়ার সময় একটি লরি ঐ গাড়িকে আঘাত করে। দুর্ঘটনায় ঐ কিশোরীর দুই আত্মীয় মারা গেছেন এবং তার আইনজীবীও গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর অভিযুক্ত আইনপ্রণেতা কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে গ্রেফতার করা হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাকেশ সিং বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন যে, ট্রাক চালক ও ট্রাকের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: পেঁপে পাতার রস, নারিকেল তেল ডেঙ্গু নিরাময়ে উপকারী? পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ ১৪টি ব্র্যান্ডের দুধ ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এমন হলো কেন কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছিল ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন প্লেট। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, ট্রাকটির রেজিস্ট্রেশন প্লেট এবং নম্বর প্লেট কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া ছিল। রাজ্যের বিরোধী দলগুলো এই ঘটনার একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছে। তারা বলছে, এরকম পরিস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা 'সন্দেহজনক'। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন যে, এই ঘটনা 'হত্যার চেষ্টা' হতে পারে। রবিবার দুপুরে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন দুর্ঘটনার শিকার কিশোরী তার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে একটি কারাগারে যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঐ কিশোরী ও তার পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগে একবছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গার। তবে পুলিশ স্বীকার করেছে যে রবিবার দুর্ঘটনার সময় 'তাদের সূত্র অনুযায়ী তাদের সাথে নিরাপত্তা ছিল না'। এনডিটিভি'কে পুলিশ কর্মকর্তা এমপি ভার্মা বলেন, "সেদিন তারা হয়তো পুলিশের নিরাপত্তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।" কুলদীপ সেঙ্গার তাকে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করেছিল অভিযোগ এনে এপ্রিল মাসে ঐ কিশোরী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তার পরদিন অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা কারাগারে মারা যান। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে থাকা কুলদীপ সেঙ্গার এবং তার সমর্থকদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তার মৃত্যু হয়েছিল। গতবছর ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এই মামলার দায়্ত্বি নেয়ার পর সেঙ্গার এবং আরো দশজনকে গ্রেফতার করে।
ভারতের উত্তর প্রদেশে ক্ষমতাসীন দলের একজন আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা এক কিশোরী সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশপাশের লোকজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর এবং শুকনো কাশি। আপনার এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই 'সেল্ফ-আইসোলেশনে' চলে যান - অর্থাৎ নিজেকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলুন। এর উদ্দেশ্য হলো যাতে আপনার বাসা, পরিবার, কর্মস্থল, বা সামাজিক পরিমন্ডলে অন্য যে মানুষেরা আছেন - তাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। প্রশ্ন হলো: কি ভাবে এই সেল্ফ আইসোলেন করতে হবে? ঘরে থাকুন এক নম্বর: আপনাকে ঘরে থাকতে হবে। কর্মস্থলে, স্কুলে বা লোকসমাগম হয় এমন যে কোন প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া বন্ধ করে দিন। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা - অর্থাৎ বাস, ট্রেন, ট্রাম, ট্যাক্সি বা রিকশা যাই হোক না কেন - এড়িয়ে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যা করতে হবে কেমন ঘরে থাকতে হবে? এমন একটা ঘরে থাকুন যাতে জানালা আছে, ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। বাসার অন্য লোকদের থেকে আলাদা থাকুন। আপনাকে কেউ যেন 'দেখতে না আসে' তা নিশ্চিত করুন। আপনার যদি বাজার-হাট করতে হয়, বা কোন ওষুধ বা অন্য কিছু কিনতে হয় - তাহলে অন্য কারো সাহায্য নিন। আপনার বন্ধু, পরিবারের কোন সদস্য বা ডেলিভারি-ম্যান এটা করতে পারে। যারা আপনার জন্য খাবার বা জিনিসপত্র নিয়ে আসবে, তাদের বলুন আপনার ঘরের দরজার বাইরে সেগুলো রেখে যেতে। বাড়ির অন্যদের কী করতে হবে? ধরুন, আপনি এমন একটি বাড়িতে আছেন যেখানে একটি 'কমন রান্নাঘর' আছে যা সবাই ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে যার করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তার এমন সময় সেই রান্নাঘরটি ব্যবহার করা উচিত যখন অন্য কেউ সেখানে নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ তার উচিত হবে রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে খাওয়া। ঘরের মেঝে, টেবিল চেয়ারের উপরিভাগ - এমন 'সারফেস'গুলো প্রতিদিন তরল সাবান বা অন্য কোনো ক্লিনিং প্রোডাক্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন। যদি নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা সম্ভব না হয় তাহলে কী করবেন? যদি এমন হয় যে আপনি নিজেকে পরিবারের অন্য সদস্য বা ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ হলো একে অপরের সংস্পর্শে আসা যতটা সম্ভব সীমিত করুন। যদি সম্ভব হয়, বাসার অন্য লোকদের থেকে কমপক্ষে ২ মিটার বা ৬ ফুট দূরে থাকুন। ঘুমানোর সময় একা ঘুমান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক হতে পারে - যেমন বয়স্ক মানুষেরা - তাদের থেকে দূরে থাকুন। বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে অন্যদের কী করতে হবে? আইসোলেশনে থাকা কোন ব্যক্তির সাথে যারা এক বাড়িতে বসবাস করছেন, তাদের জন্য পরামর্শ হলো: তাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে হাত ধোয়ার নিয়ম হলো, সাবান ও পানি ব্যবহার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে - বিশেষ করে সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসার পর। কোন কোন জিনিস 'শেয়ার' করা যাবে না আপনার বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে কোন তোয়ালে, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা এরকম কোন টয়লেট্রিজ সবাই মিলে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির আলাদা একটি বাথরুম ব্যবহার করা উচিৎ। তা সম্ভব না হলে নিয়ম করুন যে যিনি আইসোলেশনে আছে - তিনি বাথরুম ব্যবহার করবেন সবার শেষে, এবং ব্যবহারের পর সম্ভব হলে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন। যিনি আইসোলেশনে আছেন তার ফেলা বা সংস্পর্শে আসা সব রকম আবর্জনা একটি বিনব্যাগে ভরে তা আবার আরেকটি ব্যাগে ভরুন। যদি তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয় - তাহলে এই আবর্জনা কীভাবে ফেলতে হবে, সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী
করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে বা এমন সন্দেহ হলে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশপাশের লোকজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
লেবাননের পপ তারকা আমাল হিজাজী: ফিরে এসেছেন সঙ্গীতের জগতে আমাল হিজাজী যখন তার গান-বাজনা ছেড়ে পুরোপুরি ইসলামী অনুশাসন মেনে জীবন-যাপন শুরু করলেন, তাঁর ভক্তরা অবাক হয়েছিলেন তখন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় তিনি আবার ফিরে এসেছেন গানের জগতে। তবে একেবারে নতুন রূপে এবং ভিন্ন ধরণের গান নিয়ে। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়েই একটি গান গেয়েছেন তিনি। লেবাননের শিল্পী আমাল হিজাজী আরব দুনিয়ার জনপ্রিয় পপ তারকাদের একজন। ২০০১ সালে তাঁর প্রথম পপ রেকর্ড বাজারে আসে। পরের বছর দ্বিতীয় অ্যালবামেই তিনি এক সফল সঙ্গীত তারকায় পরিণত হন। এক দশকের মধ্যেই আমাল হিজাজী হয়ে উঠেন আরব বিশ্বের জনপ্রিয়তম সঙ্গীত তারকা। ২০০২ সালে আমাল হিজাজীর অ্যালবাম 'জামান' বাজারে আসে। এটিকে বিবেচনা করা হয় আরবী পপ সঙ্গীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম। গত সেপ্টেম্বরে আমাল হিজাজী তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন তিনি সঙ্গীতের জগত ছেড়ে যাচ্ছেন। তখন তিনি তাঁর হিজাব পরিহিত একটি ছবিও পোস্ট করেন। এতে তিনি লিখেন, "যে শিল্প আমি ভালোবাসি এবং যে ধর্মের নৈকট্যকে আমি লালন করি, এই দুটি নিয়ে আমাকে অনেক দিন ধরেই বোঝাপড়া করতে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন।" হিজাব মাথায় নতুন রূপে আমাল হিজাজী: নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন তিনি নবী মুহাম্মদের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে আমাল হিজাজী যে গানটি গেয়েছেন, সেটি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ইতোমধ্যে ৮০ লাখ ভক্ত তাঁর এই গানটি শুনেছেন এবং আড়াই লাখের বেশি মানুষ এটি শেয়ার করেছেন। (আমাল হিজাজীর গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন) তবে আমাল হিজাজীর এই নতুন রূপ এবং নতুন গান নিয়ে তুমুল বিতর্কও চলছে। যেভাবে তিনি হিজাব পরেছেন, তার যে সাজ-সজ্জা, সেটা কতটা ইসলাম সম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ইসলামে এভাবে মহিলাদের গান করার বিধান আছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন অনেকে। আবু মুহাম্মদ আল আসতাল নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "তিনি যা করছেন তা ইসলাম সম্মত নয়।" জেইনাব মুসেলমানি লিখেছেন, "আল্লাহ যা হারাম বলেছেন, সেটা প্রশংসা দয়া করে বন্ধ করুন। তার প্রশংসা বন্ধ করুন, তাকে বরং পথ দেখান।। ধর্মটা কেন অনেকের কাছে রসিকতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে?" তবে অনেক ভক্ত আবার আমাল হিজাজীর প্রশংসা করেছেন। দিনা মিশিক নামে একজন লিখেছেন, "যে মহিলা কিনা ধর্মে যা নিষিদ্ধ তা করা বন্ধ করেছে, হিজাব পরা শুরু করেছে এবং নবীর জন্য গান করছে, তোমরা কিভাবে তার সমালোচনা করো।"
গত সেপ্টেম্বরে আমাল হিজাজী যখন ঘোষণা দিলেন যে তিনি তার সঙ্গীতের ক্যারিয়ার থেকে অবসরে যাচ্ছেন, সেটা তাঁর ভক্তদের জন্য ছিল এক বিরাট ধাক্কা। আমাল তখন বলেছিলেন, আল্লাহ তার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন। তিনি ইসলামের মধ্যেই তার সুখ-শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ, প্রসাধনীসহ প্রতিটি পণ্য সংরক্ষণে ব্যবহার হয় প্লাস্টিক। শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে গৃহস্থালি প্রতিটি ক্ষেত্রে রিসাইকেলের ব্যাপারে বেশ তৎপর তারা। রিসাইকেল বা গৃহস্থালির ফেলা দেয়া জিনিষকে কিভাবে পুনঃব্যবহারের উপযোগি করা যায় সেটার উদাহরণ পাওয়া যায় জাপানের নারী কিয়োকো কাওয়ামুরার ঘরে। তার রান্নাঘরে পাশাপাশি কয়েকটি ঝুরিতে তিনি প্রতিদিনের ফেলা দেয়া কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাটারি ইত্যাদি আলাদা করে রাখেন। ঝুরিতে ফেলার আগে ছোট বড় প্রতিটি বস্তু ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতেও ভোলেন না তিনি। কিয়োকো কাওয়ামুরার এই পরিপাটি পদ্ধতি দেখলে মনে হয় তিনি হয়তো জাপানের রিসাইক্লিং আর্মির একজন সৈনিক। যিনি নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে এই কাজ করে যান। প্রকৃতি দূষণের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক। বিশ্বে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের শীর্ষে রয়েছে জাপান। এবং এটি সম্ভব হয়েছে মিসেস কাওয়ামুরার মতো এমন হাজারো দায়িত্বশীল মানুষের কারণে। যারা বিশ্বাস করেন, মানুষ চাইলেই প্রকৃতির দূষণ বন্ধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, "আমাদের শেখানো হয়েছে যেন আমরা পৃথিবীর জন্য ভাল কিছু করতে পারি। এজন্য আমরা আবর্জনা সংগ্রহের জায়গাটি পরিষ্কার রাখি। এবং সবাই ঠিক আবর্জনা ঠিক স্থানে ফেলছে কিনা সেটাও নজরে রাখি। যদি এই নিয়মের হেরফের হয় তাহলে আমরা ওই ব্যক্তিকে সতর্ক করে দেই।" জাপানে এ ধরণের মানুষের প্রয়োজনীয়তার অন্যতম কারণ হল, তারা জাতিগতভাবে প্রচুর প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করে। বিস্কিট থেকে শুরু করে ফল, মিষ্টি বা সেদ্ধ কোন খাবার, প্রতিটি আলাদাভাবে প্লাস্টিকে মোড়ানো থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের পরে জাপানেই সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার হয়। এ কারণেই মিসেস কাওয়ামুরা রিসাইক্লিং নিয়ে এতোটা উদ্বিগ্ন থাকেন। প্লাস্টিক বর্জ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইউ জং সুর মতে, জাপান রিসাইক্লিংকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। একে রিসাইক্লিং প্রোপাগান্ডা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জাপানের এই প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে আসলেও কি করা হয় সেটা অনেকেরই অজানা। তিনি বলেন, "জাপানিরা এই রিসাইক্লিংয়ের প্রতি অতিরিক্ত সিরিয়াস। তাদের ধারণা, তারা তখনই ভাল মানুষ হবে যখন তারা বেশি বেশি রিসাইকেল করতে পারবে। আমি মনে করি, তাদের এমন ভাবাটাই ভুল" আরো পড়তে পারেন: ভারতের মহারাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হল প্লাস্টিক ভারতের মহারাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হল প্লাস্টিক খাদ্যে ঢুকে পড়ছে প্লাস্টিক, বিপদের মুখে বাংলাদেশ পলিথিন ব্যবহার কেন বন্ধ করবেন? জাপানের এই প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ এতদিন রিসাইক্লিংয়ের জন্য চীনে পাঠানো হতো। চলতি বছরের শুরুতে ৭০ শতাংশ বর্জ্য পাঠিয়ে দেয়া হয় সেখানে। শিল্প কারখানার মালিক সোগামিসানও তার প্রক্রিয়াজাত প্লাস্টিকের ৮০ শতাংশই পাঠিয়ে দিতেন চীনে। পরে চীনা কর্তৃপক্ষ চলতি বছর হঠাত করেই এই প্লাস্টিক বর্জ্যের আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় তার কারখানার পাশে জমে ওঠে পাহাড় সমান প্লাস্টিক বর্জ্য। তবে শিল্প কারখানার যে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো রয়েছে সেগুলোর রিসাইকেলের উদ্যোগ নিয়েছেন সোগামিসান। এজন্য তার কারখানার শ্রমিকদের তীব্র শব্দের মধ্যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়। সেখানে প্লাস্টিকগুলোকে গলিয়ে, কেটে টুকরো করে পরে চূর্ণ করা হয়। পরে তৈরি করা হয় নানা ধরণের প্লাস্টিক পণ্য। তবে কারখানায় ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো উন্নতমানের এবং পরিচ্ছন্ন হওয়ায় এগুলোকে সহজেই রিসাইকেল করা যায়। যেটা কিনা গৃহস্থালির ফেলে দেয়া নিম্নমানের প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না। এ কারণেই এতদিন গৃহস্থালির প্লাস্টিক বর্জ্য চীনে পাঠিয়ে দেয়া হতো। তবে চীন এখন সেইসব প্লাস্টিকের আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে জাপানের রিসাইক্লিং অর্থনীতি। মিস্টার সোগামিসান বলেন, "যখন প্লাস্টিক রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই সারা জাপান জুড়ে প্লাস্টিকের স্তূপ জমতে শুরু করে। এবং এই স্তূপ ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। যেটা আমাদের বড় ধরণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।" জাপান এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক দিয়ে কি করবে সে ব্যাপারে এখনো কোন সুরাহা করতে পারেনি। বাস্তবতা হল, গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত এই প্লাস্টিকগুলো মূল্যমান খুবই কম। এগুলো হয় পুড়িয়ে ফেলতে হবে নাহলে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। যেটা বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্লাস্টিকগুলোর জায়গা হয় সমুদ্রে।
খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ, প্রসাধনী অথবা প্রযুক্তি পণ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ব্যবহার করছে প্লাস্টিক। এ কারণে সমুদ্র ও প্রকৃতি দূষণের ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্লাস্টিক। তবে প্লাস্টিক দূষণের হার কমাতে সচেতনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাপান।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কুষ্টিয়াতে দুর্ঘটনার পূর্ব মুহূর্ত। (ছবি: যমুনা টিভি) ঐ অ্যাকসিডেন্টের মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সড়কে নিরাপদে চলাচলের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকা। সময় মঙ্গলবার বেলা পৌনে বারোটা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন মা তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে অন্য পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাসের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। পর-মুহূর্তেই বাসটি যাত্রা শুরু করলে বাসের ধাক্কায় শিশুটি মায়ের কোল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন। নিরাপদ সড়কে দাবীতে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আরো পড়তে পারেন: চীনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান আটকে শঙ্কিত জাতিসংঘ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের 'আমি তো সেদিন পুলিশের হাতে জিম্মি ছিলাম' প্রশ্ন উঠেছে এ ধরণের দুর্ঘটনা কিভাবে এড়ানো সম্ভব? ঝালকাঠির একটি স্কুলের একজন শিক্ষিকা শিরিন শারমিন বলছিলেন, পথচারীরা যদি এক্ষেত্রে একটু সচেতন হন তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। প্রত্যেকটা রাস্তায় পথচারীরা যাতে নিরাপদে রাস্তা পারাপার করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য জেব্রা ক্রসিং এবং স্পিড ব্রেকার থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা আছে? বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শাইফুন নেওয়াজ বলছিলেন, অনেক ক্ষেত্রেই পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং বা চালকদের জন্য সাইন মার্কিংগুলো নেই। বাংলাদেশে বাসের আঘাতে দু'জন শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মাসের শুরুর দিকে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। সেখানে সড়কের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু দাবী তুলে ধরা হয়। কিন্তু এই আন্দোলন বা আইন কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে? নিরাপদ সড়কে দাবীতে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের বচসা। ঢাকার একজন বাসিন্দা আতিয়া মাসুদা বলছিলেন, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুরো ব্যবস্থাপনার একটা সার্বিক দ্রুত পরিবর্তন দরকার। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বলছে, সাম্প্রতিক কয়েকটা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিআরটিএর পরিচালক অপারেশনস শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলছিলেন, এই সব বিষয় নজরে আনা হয়েছে এবং প্রত্যেকটা দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য স্থায়ী কমিটি গঠন করার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে সংস্থাটি। এদিকে, বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারে ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ই অগাস্ট থেকে ঈদের পর ২৮শে অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোলে থাকা একটি শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
শুক্রবার ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের বিজয় নৃত্য কলম্বোতে শুক্রবার নিধাস ট্রফির এক ম্যাচের সময় আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং রিজার্ভ খেলোয়াড় নুরুল হাসানকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি। দুজনেরই ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ কাটা যাবে। এছাড়া, দুজনেই ঘাড়েই একটি করে 'ডিমেরিট' পয়েন্ট চাপানো হয়েছে। আইসিসির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর শাস্তিমূলক ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়ার ব্যবস্থা চালুর পর এই প্রথম দুজন ক্রিকেটারকে এ ধরণের শাস্তি দেওয়া হলো। শাস্তি ঘোষণার সময় ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বলেন, "শুক্রবারের ঘটনা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক ছিল। কোনো ধরণের ক্রিকেটেই কোনো ক্রিকেটারের কাছ থেকে এ ধরণের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমি বুঝতে পারছি খুবই উত্তেজনাকর ম্যাচ ছিল, ফাইনালে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপার ছিল, কিন্তু এই দুইজন ক্রিকেটারের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিলনা... যদিনা ফোর্থ আম্পায়ার সাকিবকে না থামাতেন এবং মাঠের আম্পায়াররা নুরুল এবং থিসারার মধ্যে বিরোধে হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো।" বাংলাদেশে ইনিংসের শেষ ওভার চলার সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের খেলা ছেড়ে চলে আসার ইঙ্গিত দেন। অন্যদিকে নুরুল হাসান একটি বার্তা নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে যাওয়ার সময় মাঠের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থিসারা পেরেরার সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। সেসময় নুরুলকে থিসারার দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে দেখা যায়। দুইজন ফিল্ড আম্পায়ার এবং মাঠের বাইরে আরো দুই আম্পায়ার একযোগে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সিদ্ধান্ত দেন - সাকিব আল হাসান 'খেলাধুলোর মূল চেতনা' বিরোধী আচরণ করেছেন যাতে আইসিসি আচরণবিধির ২.১.১ ধারা ভঙ্গ হয়েছে । অন্যদিকে নুরুল হাসান তার আচরণে ক্রিকেটের জন্য দুর্নাম বয়ে এনেছেন যেটা আইসিসি আচরণবিধির ২.১.২ ধারার লঙ্ঘন। আজ (শনিবার) আইসিসির দেওয়া শাস্তি সাকিব এবং নুরুল দুজনেই মেনে নিয়েছেন । ফলে এ নিয়ে কোনো আর কোনো শুনানি হবে না বলে জানিয়েছে আইসিসি। ম্যাচের পর বাংলাদেশ ড্রেসিং রুম ওদিকে কলম্বো থেকে বিবিসি সিনহলা বিভাগের একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গতরাতে ম্যাচের পর বাংলাদেশে ক্রিকেটাররা ড্রেসিং রুমে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমের দেয়ালের কাঁচ ভাঙ্গা। মেঝেতে কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে।
কলম্বোতে শুক্রবার ম্যাচের সময় আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য সাকিব আল হাসান এবং নুরুল হাসানের ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ কাটা যাবে। এছাড়া, দুজনই একটি করে 'ডিমেরিট' পয়েন্ট পেয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
অনুষ্ঠানের কথা বলে ৪০ তারকা শিল্পীর পাসপোর্ট, এনআইডির কপি সংগ্রহ করে হুমকি দিচ্ছেন একজন ব্যক্তি বুধবার ঢাকার গুলশান থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন গীতিকার কবির বকুল। পুলিশ এখন ওই অভিযোগটি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে গুলশান থানা। পুলিশ জানিয়েছে, হুমকি পাওয়া শিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, আগুন, কনা, দিনাত জাহান মুন্নী, আঁখি আলমগীর, ইমরান, গীতিকার কবির বকুল, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, অভিনেতা আবুল কালাম আজাদসহ অন্তত ৪০জন। কী ঘটেছিল? লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানের অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, নাটক ও সঙ্গীত জগতের অন্তত ৪০জন তারকার সাথে অগাস্ট মাসে যোগাযোগ করেছিলেন একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হিসেবে দাবী করেন। শিল্পীদের বলা হয়, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত নয় দিন ধরে লন্ডনে তিনটি স্থানে 'বাংলাদেশ মেলা' নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে তাদের যাওয়া-আসা, থাকা, অংশগ্রহণসহ সব খরচ বহন করবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। গীতিকার কবির বকুল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বিদেশে শিল্পীদের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রাথমিক যোগাযোগ টেলিফোনেই হয়ে থাকে। প্রবাসী এই ব্যক্তিও আমাদের সঙ্গে টেলিফোনে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলাপ করেন। ''প্রাথমিক আলাপের পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা জানিয়ে আমাদের পাসপোর্ট ও এনআইডির কপি চান। আমরা সেগুলো পাঠিয়েও দেই। কিন্তু এখন ওই ব্যক্তি আমাদের ক্ষতি করার কথা বলে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।'' টেলিফোনে যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তি শিল্পীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, এনআইডির ফটোকপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। আরো পড়ুন: সাইবার হামলার শিকার বেশি নারীরা: প্রতিকার কী? নানা দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ১৩টি অজানা তথ্য প্রবাসীদের ভোটার করার কাজ শুরু হচ্ছে ঢাকার গুলশান এলাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেল ডেকে আনা হয় তারকাদের পাঁচ তারকা হোটেলে শিল্পীদের ডেকে আনা সাধারণ ডায়েরির বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি টেলিফোন আলাপের সময় শিল্পীদের জানিয়েছিলেন, তিনি ৩রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকায় এসে সবার সঙ্গে সরাসরি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কথা বলবেন। ২রা সেপ্টেম্বর তিনি টেলিফোন করে শিল্পীদের জানান যে, তিনি ফ্লাইটে উঠেছেন। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা পৌঁছবেন। সেদিনই বিকালে তিনি শিল্পীদের ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দেখা করার জন্য বলেন, যেখানে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মঙ্গলবার দুপুরের পর ওই হোটেলে সমবেত হন প্রায় ৪০জন শিল্পী। তাদের অনেকেই জানতেন না যে অন্যরাও একই অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। এখানে সবার সঙ্গে দেখা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে হোটেলে উপস্থিত সবাইকে বার্তা পাঠান ওই ব্যক্তি। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বার্তাটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী ও তার ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের কথা বলে তার কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে অনেক শিল্পীর কাছে অভিযোগ করার পরেও কোন সমাধান হয়নি। এজন্য সব শিল্পীর পাসপোর্ট, এনআইডির কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, তিন দিনের মধ্যে ওই দুজনের কাছ থেকে সব টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে কোন শিল্পী যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। ''আমি কি করতে পারবো, তোমরা তা কল্পনাও করতে পারবে না,'' হুমকিতে বলেন ওই ব্যক্তি। শিল্পীরা এরপরে কী করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিল্পী বলেন, হোটেল বসে এই বার্তা পাওয়ার পর তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। পুরো ঘটনাটির আকস্মিকতায় তারা অনেকটা হতবাক হয়ে যান। এ সময় এই ব্যক্তির কাছে পাসপোর্ট, এনআইডির মতো ব্যক্তিগত কাগজপত্র চলে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কোন কোন অভিনেতা-অভিনেত্রী। সেখানে তারা আলোচনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারকারা। তাদের পরামর্শে গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ এখন কী করছে? গুলশান থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই সাধারণ ডায়েরি ধরে তদন্ত শুরু করেছে। ''এই ব্যক্তির ব্যাপারে যাচাই করে দেখার জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটে বিস্তারিত পাঠানো হয়েছে। সেখানে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে,'' জানিয়েছেন জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আসলে কে? দ. কোরিয়ার অনেক নারী যে কারণে ব্রা পরতে অনাগ্রহী ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসনের দফায় দফায় পরাজয়
প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, অভিনয় এবং সঙ্গীত জগতের অন্তত ৪০জন শিল্পীর কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি নেয়ার পর সেগুলো ব্যবহার করে তাদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে (ফাইল ফটো) আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছেন, শনিবার সারাদিন ধরেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস। আজ ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৩ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে এই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এখন যে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা চলছে, সেটা এই মাসের পুরোটাই, অর্থাৎ আরো কয়েকদিন থাকবে। তিনি জানান, এখন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আশেপাশের এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে। সেটার প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও টের পাওয়া যাবে। আরো এক দুইদিন এই তীব্রতা থাকবে বলে তারা মনে করছেন। দেশের বেশিরভাগ স্থানে তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। আরো পড়ুন: শীত তাড়াতে গিয়ে যেভাবে অগ্নিদগ্ধ হচ্ছে মানুষ শীতের যেসব রোগ থেকে সাবধান থাকা জরুরি শীতকালে শিশুদের রোগ থেকে দূরে রাখবেন যেভাবে ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা (ফাইল ফটো) এ সময় সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। মনোয়ার হোসেন বলছেন, জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তারপরে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এদিন সেখানে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর ও রাজশাহীর জেলাগুলোতেও তীব্র শীত রয়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানুষের দুর্ভোগ প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে নিম্নবিত্ত মানুষজন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। ঠাণ্ডার সঙ্গে গত কয়েকদিন বৃষ্টি যোগ হওয়ায় ছিন্নমূল ও ফুটপাতে থাকা মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাজধানী ঢাকাতেও অনেককে কাগজ ও অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে তাপ পোহাতে দেখা গেছে। ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় ফুটপাতে নিয়মিত ঘুমান জমিরন নেসা। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডার কারণে ঠিক মতো ঘুমাতে পারছেন না। যেখানে ঘুমাতেন, বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেখানেও আর বিছানা করতে পারছেন না। শহর এলাকায় কুয়াশার দাপট কমলেও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফেরী ও নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন রাতেই মাওয়া ও পাটুরিয়ায় কুয়াশার কারণে কয়েক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যার ফলে পদ্মা নদীর দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে যানজট। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাবা অবরোধ: সৌদির ইতিহাস পাল্টে দেয়া ঘটনা দল আর সরকার, লাইন টানছে আওয়ামী লীগ? 'মি টু' ক্যাম্পেইন কি বলিউডে পরিবর্তন আনতে পেরেছে? ২০১৯: বাংলাদেশে আলোড়ন তুলেছিল যে ঘটনাগুলো
গত দুইদিন কুয়াশা থাকার পাশাপাশি বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে কুয়াশা কেটে গেছে। তবে বেড়েছে ঠাণ্ডা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
মাহী বি চৌধুরী। গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিকল্প-ধারার দুই নেতা মহাসচিব আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে বলে ওই বৈঠকে আভাস পাওয়া যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মাহী বি. চৌধুরী বলেন, "আমরা নির্বাচনে আসছি সেটা শতভাগ নিশ্চিত। আর জোটগত নির্বাচনে আসা অসম্ভব নয়।" "এজন্য আমরা আলোচনা কবে হতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেছি। তবে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে এর চেয়ে বেশি খুলে বলা যাবেনা।" এর আগে রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের মহাজোটের সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট যুক্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আরও পড়তে পারেন: যে কারণে বি চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল 'উত্তর পাড়ার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই' বিএনপি কেন যোগ দিল আরো একটি জোটে যুক্তফ্রন্ট কেন মহাজোটে? এতদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপরীতে অবস্থান নিলেও এখন তাদের সাথেই কেন জোট বাঁধতে চাইছে যুক্তফ্রন্ট? এ ব্যাপারে মাহী বি চৌধুরী বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানান, "আমরা সবসময় বলেছি, আমরা বিরুদ্ধবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে... বিকল্প ধারা তো জন্মের পর থেকে কখনোই বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কারো বিরুদ্ধে রাজনীতি করে নাই।" "আমরা তো একসময় বিএনপি থেকে বেরিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। পরে সেই বিএনপির সাথেও তো আমরা এতদিন আলোচনা করেছি যে আমাদের নীতির ওপর ভিত্তি করে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করা যায় কিনা। সেটা হয়নি। কিন্তু আমরা আমাদের চেষ্টা থেকে সরে যাইনি।" রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটে সম্পৃক্ত হওয়া ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। এছাড়া দেশ বিরোধী শক্তিকে রুখে দেয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং গণতন্ত্রবিরোধী সব ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মহাজোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন মাহী বি চৌধুরী। বিবিসিকে তিনি বলেন, "সাংবিধানিক এই সরকার যেন হঠাৎ হোঁচট না খায়, এইজন্য আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।" তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা না হওয়ায় কোন কিছুই নিশ্চিত নয় উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, "মহাজোট সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিজেদের দাবি আদায়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের যে দুটো প্রধান দল তাদের মাঝামাঝি থেকেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছি আমরা।" মহাজোট সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে যদি শরীকদের একটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে নিয়ে আসা যায় তাহলে এতে বাংলাদেশের মানুষ এতে উপকৃত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বি. চৌধুরীর বিকল্পধারাসহ যুক্তফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেনের ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়েই শুরুতে বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হয়। কোন বিষয়ে হবে আলোচনা? ঐক্যফ্রন্টের সামনে যুক্তফ্রন্ট যে দাবি ও লক্ষ্যগুলো রেখেছিল, এবার সেই একই বিষয়গুলো নিয়ে মহাজোটের সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা করার কথা জানান মাহী বি চৌধুরী। মহাজোটের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রধান তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় রাখার কথা জানান তিনি। সেগুলো হল: এছাড়া আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সেগুলো আজকের দলীয় বৈঠকে চূড়ান্ত করার কথা জানান তিনি। তবে মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচনে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই আসন নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। বিকল্পধারার নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী। জোটবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা বিফলে গেলে? তবে মহাজোটের সঙ্গে এই জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বিফলে যাবে এমনটা এখনই ভাবতে চান না মাহী বি চৌধুরী। তিনি বলেন, "যখন আমরা কোন কাজ শুরু করি তখন তো অকৃতকার্য হওয়ার মানসিকতা নিয়ে শুরু করি না। আমরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী বলেই মহাজোট গঠনের বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে।" "বিএনপির সঙ্গে যখন আমরা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছিলাম, তখন আমরা পুরো আশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচনা চালিয়েছি। ঐক্যফ্রন্ট ভেঙ্গে যেতে পারে এমন কোন চিন্তা করিনি। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট ভেঙ্গেছে।" এক্ষেত্রে রাজনীতির দেখানোর পথে চলার কথা জানিয়েছেন মাহী বি চৌধুরী। তার মতে, "পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেটা রাজনীতিই বলে দেবে এবং আমরা সে অনুযায়ী এগিয়ে যাব।" যুক্তফ্রন্ট এতদিন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ১৩ অক্টোবর বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়েই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়। এরপর দল ভেঙে একটি অংশ ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট "বাংলাদেশ বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ না করায় যুক্তফ্রন্ট বেরিয়ে এসেছে" বলে গণমাধ্যমকে জানায় যুক্তফ্রন্ট।
নির্বাচনী রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় এসেছে যুক্তফ্রন্ট। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে জোটের পরিসর বাড়াতে দলটির সঙ্গে দেন দরবার শুরু করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং টকশোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে এবং পরে কয়েকটি টেলিভিশনের আচরণ তাদের কাছে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে। যেখানে এমনকি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকরাও একটি পক্ষ নিয়ে বিএনপিকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন বলে তাদের অভিযোগ। তাই টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোতে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, '' নির্বাচন পরবর্তী অনেক বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে টক-শো'র বিষয়টিও ছিল। বিভিন্ন টক-শো'তে যারা পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন বলে বলা হয়, তারা কতটা উপযুক্ত, তাদের প্রস্তুতি কেমন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন, তারা তথ্য নির্ভর কথা বলছেন কিনা - সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। '' ''অনেকে আছে সাবেক নেতা বা বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু তারা আসলে হয়তো এখন আর বিএনপিকে প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিছু টেলিভিশন আছে, যেগুলোর লক্ষ্য থাকে বিএনপিকে উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করা। সেসব ক্ষেত্রে আমাদের যারা ওখানে যান, তাদের আরো সতর্ক, আরো গঠনমূলক এবং আরো তথ্য নির্ভর বক্তব্য নিয়েই সেখানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।'' ''বিশেষ করে নির্বাচনের অনিয়মের নানা তথ্যগুলো সেখানে যেন যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়, সেই বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।'' আরো পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কী? বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট: ইশতেহারে মিল-অমিল কোথায়? বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলছেন নির্বাচনের অনিয়মের নানা তথ্যগুলো সেখানে যেন যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়, সেই বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা এসব টকশো ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য যোগান দেবেন। দলটির নেতারা টকশোতে যাবার আগে প্রয়োজনে এই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে যেতে পারবেন। এই কমিটিতে আরো রয়েছেন শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ এবং রুমিন ফারহানা। এই কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং যারা টক শোতে যাবেন, প্রয়োজনে তাদের পরামর্শ দেবেন। শামসুজ্জামান দুদু বলছেন, ''কিছু টেলিভিশন আছে যেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপিকে টার্গেট করে থাকে। এগুলো যারা ফেস করতে পারবেন না, তারা যেন সেসব টেলিভিশনে না যান। যারা পারবেন, তারাই যেন যান। তবে কাউকে কোন টেলিভিশন বা অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে বলা হয়নি।'' ওই বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, '' যেহেতু আমাদের কথা কাজ বা প্রচারণা ঠিকভাবে নিউজে আনা যাচ্ছে না, তাই টক শো হচ্ছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার প্রধান জায়গা।" "আমাদের প্রেস ব্রিফিংয়ের সামান্য অংশই খবরে যায়, সব পেপারও সবাই পড়েন না। ফলে টক শো লাইভ অনুষ্ঠান বলে সেখানে বিশ্লেষণ করে আমরা তুলে ধরতে পারি।'' তিনি বলছেন, ''কিন্তু কিছু চ্যানেল আছে যাদের অতিথি বাছাই হয় একদিকে একপক্ষের কয়েকজন, অন্যদিকে আমাদের পক্ষ থেকে একজন অথবা দুর্বল একজন।" "সেই সঙ্গে অনেক সঞ্চালকও ঠিক সঞ্চালক সুলভ আচরণ করেন না, একটা দলের পক্ষ হয়ে যান। সেজন্য এটা কিভাবে ট্যাকল করা যায়, সবাই যাওয়ার আগে যাতে বিষয়বস্তু জেনে-পড়াশোনা করে যান, দুর্বলতা থাকলে যেন এড়িয়ে যান, নিজের চেহারা দেখাতে গিয়ে যেন দলের ক্ষতি না করেন - এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'' তিনি জানান, যেসব বিষয়ে সাধারণত বিএনপিকে অভিযুক্ত করা হয়, সেসব বিষয়ে সবসময়েই দলের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রমাণ প্রস্তুত রাখা হবে, যাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলের নেতাদের বক্তব্য অভিন্ন হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ক্রিকেট মাতানো নেপালি ক্রিকেটারের উঠে আসার গল্প 'চুরি যাওয়া হৃদয়' ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ তরুণ যৌনতার সুযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং? সাতক্ষীরায় মাটির নিচে শত বছরের পুরনো সিন্দুক টেলিভিশনের বিভিন্ন টক-শো'তে আরো অনেকের মতো বিএনপিকে উপস্থাপন করে থাকেন ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ। বৈঠকে অংশ নেয়া দলটির নেতারা জানাচ্ছেন, দল থেকে যারা টক-শো'তে যাবেন, কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাদের একটি তালিকা করা হবে। বিএনপির প্রেস কনফারেন্স, বক্তব্য তাদের ইমেইলে নিয়মিত জানিয়ে দেয়া হবে। আর যারা দলের পদে নেই, তাদের দলীয় পরিচয়ে টক-শো'তে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। এসব নীতিমালা দলটির নেতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে দলটির পদে নেই, এমন ব্যক্তিরাও চাইলে এই কমিটির সাহায্য নিতে পারবেন। টেলিভিশনের বিভিন্ন টক-শো'তে আরো অনেকের মতো বিএনপিকে উপস্থাপন করে থাকেন ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''গতকাল দল থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু এই মুহূর্তে সংবাদ মাধ্যম যেহেতু অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এবং আইনের জালে আমরা বন্দি, সেই বিবেচনায় আমাদের বলা হয়েছে যেন আমরা দলের পক্ষ থেকে যথাযথ সঠিক তথ্য আমরা উপস্থাপন করি।" "যারা দলের হয়ে বা দলের পক্ষ থেকে টক-শো'তে যান, তারা সবাই যেন লেখাপড়া করে জেনে সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে যান এবং ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারেন।''
বাংলাদেশে টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং টকশোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন তৈরির করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
হোলি আর্টিজান বেকারি দেশে ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওই হামলায় বাংলাদেশি, জাপানি, ভারতীয় এবং ইতালির নাগরিকরা প্রাণ হারান। পরের দিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় হামলাকারী জঙ্গিরা। প্রায় দুইবছর হতে চললেও এই হামলার ঘটনায় তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, এমন প্রেক্ষাপটে আজ জানানো হল সম্মাননা। হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈন। হামলার ঘটনার রাতে গুলশানের ওই এলাকায় তারিশির মা-বাবার সাথে ছুটে গিয়েছিলেন তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন নিরেন সরকার। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনিই তারিশির মৃতদেহ শনাক্ত করেছিলেন। মিস্টার সরকার বলছিলেন "বাংলাদেশে ব্যবসা থাকার কারণে তারিশির বাবা-মা আগে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। হোলি আর্টিজান হামলার পর থেকে তা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়ের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার শোক তার মা আজ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি।" গুলশানের ওই রেস্টুরেন্টে জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে পরদিন ভোরে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে, ওই অভিযানে হামলাকারী ছয়জন প্রাণ হারায়। ফলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর পক্ষ থেকে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আজ তারিশির পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মি: সরকার একাই। তিনি তারিশি জৈনের বাবার প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে ১৫ হাজার ইউরো অর্থ প্রদান করা হয়। সেইসাথে তাদের সনদ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগকে মিজ জৈনের পরিবার কিভাবে দেখছে? জানতে চাইলে মি সরকার বলেন, " তারা এটাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখছি না, এটাকে দেখছেন সমবেদনা হিসেবে। কারণ এটার তো ক্ষতিপূরণ হয়না"। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৬ সালে পয়লা জুলাই রাতে আলোড়ন তোলা ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দিন ২০ জন নিহত হন । এছাড়া আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ফারাজ আয়াজ হোসেন। সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে কথা বলতে এসে মঞ্চে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার নানা ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান। নতুন জায়গায় নতুন করে চালু হয়েছে হোলি আর্টিজান ক্যাফে সেখানে উপস্থিত ফায়াজ হোসেনের বড় ভাই জারিফ আয়াত হোসেন বলছিলেন, "আজকে আমাদের আসলে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস দেয়া হল যে বাংলাদেশ আসলে থেমে নেই। বাংলাদেশ ফাইট করছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে লড়াই করছে । এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয় এবং যেদিন আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি সেদিন থেকে বাংলাদেশ অন্যদিকে চলে গেছে। সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেটুকুই আমাদের কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস) দিচ্ছে। " তবে এ ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নিহত ফারাজের ভাই মিস্টার হোসেন। " আমি যেহেতু যথেষ্ট ইনফর্মড (অবগত) নই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না"। এই সম্মাননা দেয়া হলো এমন এক সময় যখন হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনার আরো একটি বর্ষ পূরণের দিকে এগোচ্ছে। এই হামলার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন একজন হাদিসুর রহমান সাগর নামে একজনকে কদিন আগে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বলা হচ্ছে এর ফলে এই ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিলো। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে বিদেশিদের আনাগোনা ছিল বেশি। (ফাইল ছবি) কিন্তু মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর? পুলিশের একজন মুখাপাত্র এআইজি সোহেলি ফেরদৌস বলেন, ''তদন্তের শেষ পর্যায়ে পুলিশ। তবে কবে নাগাদ অভিযোগ পত্র আসতে পারে তা এখনো বলতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।'' " হোলি আর্টিজান মামলার বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এবং অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যে দুয়েকজন আছে তাদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হচ্ছে। সম্প্রতি যাকে জীবিত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।" তবে এর আগে বিভিন্ন সময় মূল হোতা বা পরিকল্পনাকারী বা মাস্টার মাইন্ড, কিংবা সর্বশেষ অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে বিভিন্ন জনের গ্রেপ্তারের খবর এসেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এখনো পর্যন্ত ভয়াবহ ওই হামলার মূল কারণ এবং মূল দোষী কে তা নিয়ে মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্ন এবং দ্বিধা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ২০১৬ সালের আলোচিত হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায়, নিহতদের পরিবারকে সম্মাননা জানিয়ে ১৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়নি অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কনে খাদিজা আক্তার খুশি এবং বর তরিকুল ইসলাম জয়। গত শনিবারের এই বিয়ের ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছেন। বাংলাদেশের চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ অন্যান্য সহযাত্রীদের নিয়ে কনের বাড়ি যান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। এবং সেখান থেকে কনেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মেয়ে খাদিজা আক্তার খুশি এক্ষেত্রে উল্টো কাজটি করেছেন। তিনি তার সহযাত্রীদের নিয়ে মেহেরপুর জেলার গাঙনি পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জয়ের বাড়িতে হাজির হন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। বিয়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথাগতভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে যেভাবে বরকে বরণ করা হয়, তেমনি এই বিয়েতেও কনেকে ফুলের মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে নেন বরপক্ষের আত্মীয় স্বজন। দেখুন ব্যতিক্রমধর্মী এই বিয়ের ভিডিও: ব্যাতিক্রমধর্মী এই বিয়ে দেশজুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছে এরপর বর কনে আসনে বসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। সব অতিথিদের আপ্যায়ন শেষে সন্ধ্যার দিকে বরকে নিয়ে কনে চলে যান তার বাবার বাড়িতে। ব্যতিক্রমধর্মী এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহের কমতি ছিলনা বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক সাংবাদিক। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে বরের বাড়িতে যেমন উৎসাহী জনতা ভিড় ছিল তেমনি কনের বাড়িতে অনেক মানুষ জড়ো হন বলে তিনি জানান। এই প্রথার বাইরের বিয়ের প্রস্তাবটি আসে মূলত বর তরিকুল ইসলাম জয়ের বাবা আবদুল মাবুদের পক্ষ থেকে। "আমার বাবা ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সেক্রেটারি। তিনি অনেক জায়গায় বক্তব্য দিতে গিয়ে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। এবং তিনি কাজেও সেটা প্রমাণ করার জন্য আমাকে এভাবে বিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করেন।" বলেন বর তরিকুল ইসলাম। তারা চেয়েছেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। এ ব্যাপারে কনে খাদিজা আক্তার বলেন, "ছেলেরা যদি পারে মেয়েদেরকে বিয়ে করে নিয়ে আসতে তাহলে মেয়েরা কেন পারবেনা। নতুন সিস্টেমে বিয়ে করতে পারে আমি অনেক খুশি। প্রথমে ভেবেছিলাম এভাবে বিয়ে করবো, ঠিক হবে কিনা। কিন্তু পরে আমি রাজী হই। এমন আনকমনভাবে বিয়ে এর আগে আর কেউ করেনি। বিয়েতে এজন্য অনেক আনন্দ হয়েছে।" শুরুতে দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশী আপত্তি জানালেও পরে তারা রাজী হন। এবং সাদরেই এই প্রস্তাবকে গ্রহণ করেন। বিয়ে বাড়ির অতিথিদের সঙ্গে বর কনে। "অনেকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন, অনেকে মসজিদে বিয়ে করেন। আমরা ধর্ম মতে বিয়ে করেছি। কাজী ছিলেন, সাক্ষীরা ছিলেন। সেভাবেই বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে। বিয়ের আসল আনুষ্ঠানিকতা তো এটাই। সেটা তো আমরা ঠিকভাবেই করেছি। এখন অনুষ্ঠান কিভাবে হল না হল, সেটা নিয়ে কারা কী ভাবল, কী বলল সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। একেক মানুষ একেকরকম ভাববে, এটা যার যার ব্যাপার" বলেন বর মিঃ ইসলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় কনে ও তার পরিবার সাধারণ শোক বিহ্বল হয়ে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু এই বিয়েতে তাহলে ফেরার পরিবেশ কেমন। সেটা নিয়েও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এ ব্যাপারে মি: ইসলাম বলেন, "মা-বাবাকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হয়েছে। তাদেরকে সালাম করে দোয়া চেয়ে ফিরেছি। পুরুষ মানুষ, সহজে চোখে পানি আসেনি ঠিক কিন্তু কষ্ট হয়েছে। তাই চুপচাপ ছিলাম।" পুরুষ শাসিত সমাজে নারী পুরুষের সমান অধিকারের বহিঃপ্রকাশে এই প্রথা ভেঙ্গে বিয়ে করার বিষয়টিকে প্রতীকী বলে জানিয়েছেন কনে খাদিজা আক্তার। মেহেরপুরে বরের বাড়িতে সম্পন্ন হয় বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা। আরও পড়তে পারেন: গর্ভেই নির্ধারিত হয়ে যায় সন্তানের ব্যক্তিত্ব' মিথ্যাবাদী চেনার সহজ উপায় কাশ্মীরে কেন বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করছে বহু পরিবার ভারতে তিন তালাক প্রথা বাতিলে পাঁচ নারীর লড়াই তার মতে, একদিনে কোন কিছুই বদলাবেনা। কিন্তু মানুষ এবার দেখল। চাইলে এভাবেও বিয়ে করা যায়। "এখানে প্রথা বিষয় না। এটা নারী পুরুষের অধিকারের বিষয়। আজকে যদি মেয়েরা একটা ছেলেকে বিয়ে করতে যায় তাহলে তো কারও ক্ষতি হচ্ছেনা। বরং নারী নির্যাতন কমবে, নারী তার মর্যাদা পাবে। এখানে কেউ কারও চাইতে কমও হবেনা আবার বেশিও হবেনা।"
বাংলাদেশে বিয়ের যে প্রচলিত প্রথা সেটা ভেঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের একটি সংগঠন। তারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দাবি করছে। সরকারি চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত মন্ত্রীসভা অনুমোদন করেছে, সেদিন থেকেই এ আন্দোলনের সূচনা। এরপর থেকে তারা ঢাকার শাহবাগ-সহ বিভিন্ন জায়গায় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন শুরুর আরেকটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। যেদিন কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেদিন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "কেউ যদি কোটা চায়, তাহলে এখন কোটা চাই বলে আন্দোলন করতে হবে। সেই আন্দোলন যদি ভালোভাবে করতে পারে, তখন ভেবেচিন্তে দেখা হবে কী করা যায়?" প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর কোটার পক্ষে কিছু আন্দোলনকারী সরব হয়ে উঠে। যারা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছেন তাদের অনেকেই মনে করেন সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরে কোটার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলনে সরকারের সমর্থন আছে? কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে গত কয়েকদিন ধরে কোটার পক্ষে আন্দোলনকারীরা ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করলেও পুলিশ তাদের প্রতি নমনীয় ভাব দেখিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন সরকারের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এ আন্দোলন পরিচালনা করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে। সংগঠনটির সভাপতি শেখ আতিকুর বাবু বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা এমন কী করেছি যে পুলিশ আমাদের প্রতি কঠোর হবে?" সরকারের সাথে কোন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে মি: বাবু বলেন, "আমরা চাচ্ছি সরকারকে চাপের মধ্যে রাখতে। কোটা বাতিলের মাধ্যমে আমাদের লজ্জাস্কর পরিস্থিতি ফেলে দেয়া হয়েছে।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লুবনা জাহান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমান আন্দোলনকে তিনি 'হাস্যকর' হিসেবে বর্ণনা করেন। "যারা রাস্তা অবরোধ করছে তারা গুটি কয়েকজন এবং খুবই নগণ্য পরিমাণ। এখানে কোন স্টুডেন্ট নেই। কারা আন্দোলনে আসতেছে?" লুবনা জাহান বলেন, কোটা সংস্কারের জন্য যখন আন্দোলন চলছিল তখন তাদের রাষ্ট্র বিরোধী এবং সরকার-বিরোধী হিসেবে তকমা দেয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, কোটা সংস্কার জন্য যারা আন্দোলন করেছে তাদের প্রতি পুলিশ কঠোর মনোভাব দেখালেও এখন আন্দোলনকারীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। "কাদের ভয়ে পুলিশ তাদের প্রটেকশন দিচ্ছে?" প্রশ্ন তোলেন লুবনা জাহান। সায়মা আলম, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ আন্দোলনে সরকারি মহলের কোন ইন্ধন আছে কিনা সেটি নিয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সায়মা আলম। তিনি বলেন, "এটা এ মুহূর্তে বলা খুব কঠিন। আমি মনে করি যে সরকার সবদিক থেকে সমান বিবেচনাতে কাজ করবে। ভেতরে কোন ধরণের ইন্ধন আছে কিনা সেটা এ মুহূর্তে আমি বলতে চাচ্ছি না।" এই আন্দোলন কতটা যুক্তিসংগত? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নাজনীন ইসলাম বলছেন, বাংলাদেশে সরকারী চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে নিরপেক্ষে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই একটি গৌরবের বিষয়। সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি অন্যভাবে দেয়া যেতে পারে। অধ্যাপক নাজনীন বলেন, "কেউ-কেউ বলে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে দেয়া মানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। বিষয়টাকে সেভাবে না দেখাই ভালো। মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা অন্যভাবে সাপোর্ট করতে পারি।" চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সায়মা আলমও একই মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান। তাদের কথা মাথায় রেখেও স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে সরকারি চাকরিতে এতো বিশাল সংখ্যায় কোটার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি। "সাধারণ মানুষের বিবেচনায়, মানুষের চাহিদার বিবেচনায়, দেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে তাদের সমান সুযোগের নিশ্চয়তা আমাদের দেয়া উচিত," বলেন সায়মা আলম। তবে তিনি মনে করেন, একটি স্বাধীন দেশে আন্দোলন করা, নিজের মতামত প্রকাশ করা এবং দাবি জানানোর অধিকার সবার আছে, সেটা যত কম সংখ্যকই হোক না কেন।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলনে সরব হয়েছে একদল তরুণ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ জন্য ছোট ছোট কয়েকটি দলের দেয়া শর্তের জবাবে তাদের নিজেদের প্রস্তাবনা তৈরি করছে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। শর্তগুলো নিয়ে বিএনপি ঐ দলগুলোর সাথে আলোচনা চালাচ্ছে, দু'পক্ষই তাদের স্ব স্ব শর্ত বা কিছু প্রস্তাব ও আদান প্রদানও করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন জোট যুক্তফ্রন্ট ঐক্যের জন্যে এসব শর্ত দিয়েছিল। এতে বলা হয়, কোনো একক দলের কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে পারবে না এবং ২০ দলীয় জোটে বিএনপির বর্তমান শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সাথে রাখা যাবে না। কিন্তু এসব শর্তের ব্যাপারে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কতোটা ছাড় দিতে পারবে - সেই প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন। বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে তারা 'অনেক বিষয়ে ছাড় দেয়ার ব্যাপারে' তাদের দলে এবং বিশ দলীয় জোটে আলোচনা করেছেন। এর ভিত্তিতেই বিএনপি তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা তৈরি করছে। দেশ শাসনে গুণগত পরিবর্তন আনার যে শর্ত এসেছে, তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। এমন কি সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার শর্ত মানতেও বিএনপি এখন রাজি আছে। বি চৌধুরী, ড কামাল হোসেন, আর আসম আবদুর রবের মত নেতারা আছেন যুক্তফ্রন্টে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বৃহত্তর ঐক্যের আলোচনায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের ব্যাপারে এখন সেভাবে দ্বিমত নেই। "ক্ষমতার ভারসাম্য যেটা, এটাতো আমাদেরও একটা অন্যতম প্রধান ইস্যু। আমরা এর গুণগত পরিবর্তনের কথা বলছি। আমরা স্বাধীন বিচারবিভাগের কথা বলেছি। আইনের শাসনের কথা বলছি। এ বিষয়গুলোতে আমাদের খুব একটা দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না।" বিএনপির অন্যান্য সূত্রগুলো বলছে, ১২ বছর ধরে লম্বা সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি যে প্রতিকুল পরিবেশ পার করছে, সেই অভিজ্ঞতা থেকে দলটি এখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ সংস্কারের বা গুণগত সব পরিবর্তনের পক্ষে এসেছে। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা, ড: কামাল হোসেনের গণফোরাম, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি 'যুক্তফ্রন্ট' নামের জোট গঠন করে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এসব শর্ত দিয়েছে। তাদের উল্লেখযোগ্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, জামায়াতে ইসলামীকে সাথে রেখে কোনো ঐক্য হবে না। এই জোটের অন্যতম নেতা মাহী বি চৌধুরী বলছিলেন, তাদের শর্তগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হওয়ার পরই ঐক্য সম্ভব। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চল্লিশের বিএনপি কি সবচেয়ে কঠিন সময়ে? জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ছোট দলগুলোর বড় শর্ত ঢাকার পল্টনে যে তিনটি দাবী জানালো বিএনপি মাহী বি চৌধুরী "মূল যে দু'টো পয়েন্টের কথা আমরা বলেছি, এক নম্বর পয়েন্ট বলেছি আমরা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে বিরোধীদলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য হতে হবে।" "এবং প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোনো ধরণের ঐক্যের ব্যাপারে আমরা কোনোভাবেই রাজি নই।" মাহী বি চৌধুরী আরও বলেছেন, "দ্বিতীয় পয়েন্ট আমরা বলেছি, ক্ষমতার ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য হতে হবে অর্থাৎ কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক, এমন লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্য হওয়ার কোনো অর্থ নেই। তাহলে স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বাংলাদেশ কখনও মুক্ত হতে পারবে না । অতীতে আমরা সেটাই দেখেছি।" ড: কামাল হোসেনও মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কোনো ঐক্য নয়। বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে নিয়ে যে শর্তের মুখে পড়েছে, তাতে দলটির ছাড় দেয়া বেশ কঠিন বলে অনেকে মনে করেন। তবে এই ইস্যুতে তারা এবার কৌশলী হতে পারে বলেও মনে করা হয়। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নির্বাচনে তাদের দল থেকে এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করতে রাজি নয়। সেই প্রেক্ষাপটে জামায়াত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে সেই আসনও ভাগাভাগি হবে এবং তাদের আসনগুলোতে বিএনপি প্রার্থী দেবে না। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের সাজা হয়ে গেছে, তাদের আত্নীয় স্বজনকেও জামায়াত প্রার্থী করতে পারবে না। এ ধরণের আলোচনা রয়েছে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে। দল দু'টির নেতাদের সাথে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৃহত্তর ঐক্যের ক্ষেত্রে বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটকে সম্পৃক্ত করতে চায় না। বিএনপির চেয়ারপারসন এখন দুর্নীতির মামলায় কারাদন্ড ভোগ করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টি যে ভাবে ঐক্য করে, সে ধরণের প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি যুক্তফ্রন্টের সাথে আলোচনা করছে। তবে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরণের জোট বা ঐক্যের ক্ষেত্রে আসন ভাগাভাগির বিষয়টিই শেষ পর্যন্ত বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমেনা মোহসীন বরছিলেন, "কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কিন্তু জোটগুলো করা হয়। এবং একটা আসন ভাগাভাগির ব্যাপার থাকে। যেখানে বৃহৎ দলগুলো একটা শক্তির বলয়টা বাড়ানোর চেষ্টা করে। আর ছোট দল যারা আছে, তারাও তাদের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য আমন ভাগাভগির কথা বার্তা আমরা শুনতে পারি। অতীতেও শুনেছি, এখনও শুনছি। সেভাবেই এগুলো এগিয়ে যায়।" তিনি আরও বলেছেন, "এখানে ঠিক এখন আদর্শিক এরকম ইডিওলজি নিয়েতো কেই সামনে আসছে না। বা আদর্শের জায়গায় যে ঐক্যমত থাকে, সেগুলোতো না।এগুলো ক্ষমতারই একটা বিষয়, এদিক ওদিক।" নির্বাচনে কোনো দল যাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, সেটি বিবেচনা করার বিষয়ও বড় শর্ত হিসেবে এসেছে। তবে বিএনপি ছোট দলগুলোর নেতাদের সকলের আসনে ছাড় দিতে পারে বলে মনে হয়। অন্যদিকে, বৃহত্তর ঐক্যের নেতৃত্ব কে দেবেন, সেই প্রশ্ন এসেছে তাদের আলোচনায়। বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া এবং অন্য দলগুলোর শীর্ষ নেতারা যৌথভাবে নেতৃত্ব দেবেন, এই প্রস্তাব নিয়েই তাঁরা অন্যদের সাথে কথা বলছেন। তারা আরও বলছেন, বিএনপি দুই ভাগে দেখতে চাইছে বৃহত্তর ঐক্যকে। একটি হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য ঐক্যবদ্ধবাবে এগুনো আরেকটি হচ্ছে, নির্বাচনের পরে সংস্কারের বিষয়গুলো আনা। আরো পড়ুন: আজান শুনে সোনার মলাটওয়ালা কোরানটি নেয়নি চোরেরা আসামের 'অবৈধদের' বাংলাদেশে পাঠানোর হুমকি বাংলাদেশেই সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে 'অতি ধনীর' সংখ্যা
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদল বিএনপি ও ছোট কয়েকটি দলের একটি যুক্তফ্রন্ট গঠনের যে শর্তগুলো চূড়ান্ত করা হচ্ছে - তাতে কোন 'একক দলের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হওয়া' এবং 'জামায়াতকে সাথে না নেবার' কথা বলা হয়েছে।