instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কোটাবিরোধী আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবশ্য বলছেন, ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার কারণে ওই ছাত্রীদের আপাতত হল থেকে সরিয়ে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। অনেকের অভিযোগ - কোটা বিরোধী বিক্ষোভের সময় এক ছাত্রলীগ নেত্রীর হেনস্থা হওয়ার ঘটনার জন্য প্রশাসনের রোষানলে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাতে সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার পর হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একজন শিক্ষার্থী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ভয় দেখিয়েছে যে যারা আন্দোলন করেছে তাদের বের করে দিবে। হলের মেয়েরা তো আতঙ্কিত যখন শুনেছে যে দু'হাজার মেয়েকে হল থেকে বের করে দিবে। অধিকাংশ মেয়েই তো ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে।" কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন নেতা হাসান আল মামুন বলছেন, তিনি ঘটনা শুনে মধ্যরাতেই ওই হলের সামনে গিয়েছিলেন। "ওখানে যারা ছিলেন এবং এই ঘটনার যারা প্রত্যক্ষদর্শী, তারা বলেছেন, বিশ জনের মতো মেয়েকে বের করে দিয়েছে। তাদের ফোনও জব্দ করে রাখা হয়েছিলো।" এই সুফিয়া কামাল হলটি আলোচনায় রয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এই হলে ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে ঘিরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেসময় কোটা-বিরোধী আন্দোলনকারীকে রোষের মুখে পড়েছিলেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী। আরো পড়তে পারেন: চাকরিপ্রার্থীদের ‘ফার্স্ট টার্গেট বিসিএস’ কেন? বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বটগাছ স্যালাইন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা মার্কিন সেনেটের ফ্লোরে দশ দিনের শিশু, ইতিহাস সৃষ্টি মায়ের ভারতে নিখোঁজের ৪০ বছর পর স্বজনের কাছে ফেরালো ইউটিউব ভিডিও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতন করার অভিযোগে এই নেত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিলো, পরে ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগের এই নেত্রীকে জুতার মালা পরানোর ঘটনার জের ধরেই এখন হলে কোটা আন্দোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে হল প্রভোস্ট সাবিতা রেজওয়ানা রহমান বলছেন, সুনির্দিষ্ট কারণে তাদেরকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলো। তাদের মধ্যে দুজন আজই হলে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, "অভিভাবকরা তাদেরকে কাউন্সেলিং-এর জন্য নিয়েছে।" তবে কী কারণে তাদের কাউন্সেলিং করতে হচ্ছে সেটি তিনি প্রকাশ করেননি। হলের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা কেউ নিজেদের নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে আতঙ্কের কোন কারণ নেই উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলছেন, ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগেই ওই তিন শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের হাতে তুলে প্রশংসনীয় কাজ করেছে হল প্রশাসন। "ফেসবুকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছিলো। এর আগেও গুজবের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ওদের অভিভাবকদের দেখানো হয়েছে মোবাইল খুলে। অভিভাবকরাও সন্তুষ্ট," বলেন তিনি। এদিকে ইফফাত জাহান এশাকে সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্বহালের ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীরা রোষানলে পড়তে পারে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। তাদেরই একজন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলছেন, সর্বশেষ ঘটনাতেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, "আন্দোলনকারীদের ধরে ধরে শাস্তি দেয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। সুফিয়া কামাল হলই নয় অন্য হলেও আন্দোলনে জড়িতদের চোখে চোখে রাখা, ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে- এটা অনভিপ্রেত।" মিস্টার হক বলছেন, আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে চাপের মুখে না ফেলে ইফফাত জাহান এশাকে হেনস্থা করার ঘটনার বিচারের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলোও বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর যেকোনো ধরনের হয়রানি এখনই বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল থেকে মধ্যরাতে তিনজন ছাত্রীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠার পর ঐ হলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভারত থেকে লাখ লাখ মুসলিম পালাতে পারে- ইমরান খান জেনেভায় শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, নতুন বৈষম্যমুলক নাগরিকত্ব আইন এবং কাশ্মীর পরিস্থিতির ফলে লাখ লাখ মুসলিম ভারত থেকে পালাতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেন, বড় ধরণের শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। "শুধু যে সম্ভাব্য শরণার্থী সঙ্কট নিয়েই যে আমরা উদ্বিগ্ন তা নয়, একই সাথে আমরা উদ্বিগ্ন যে এ নিয়ে দুই পারমানবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যতে পারে।" ইমরান খান বলেন, "পাকিস্তানের পক্ষে নতুন করে আর শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ।" তিনি বলেন, "অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, অসুখের চিকিৎসার চেয়ে, অসুখ যাতে না হয় সেটা করারই শ্রেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনই ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে হয়তো এই সঙ্কট এড়ানো সম্ভব হতে পারে।" পাকিস্তানে প্রায় গত ৪০ বছর ধরে প্রায় ১৫ লাখ আফগান শরণার্থী বসবাস করছে। সম্পর্কিত খবর: নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু চিত্র: ভারতের দাবি কতটা সত্যি? জেনেভাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন এসব বক্তব্য দিচ্ছেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ছড়িয়ে পড়ো বিক্ষোভ জন্য কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধীদের দায়ী করছেন। তিনি বলেন, বিরোধীরাই ভারতের মুসলিমদের মনে ভীতির সঞ্চার করছে। দিল্লিতে নতুন করে শুরু হয়েছে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ ওদিকে, তৃতীয় দিনের মত আজও (মঙ্গলবার) ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজধানী দিল্লির সিলামপুর এলাকায় শত শত মানুষ পুলিশের সাথে খণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়লে, জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে এবং লাঠিপেটা করেছে। কলকাতায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অনেক বাস-গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সোমবার লক্ষাধিক লোকের এক বিক্ষোভ মিছিলের পরদিন মঙ্গলবারও নতুন করে বিক্ষোভে যোগ দিতে মানুষজন জড় হচ্ছে। তামিল নাডু, কেরালা, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে অনেকেই মোবাইল ফোনে, ইমেইলে লাখ লাখ টাকার লটারি জয়ের বার্তা পান। ওই বার্তায় বলা হয় মিস্টার হোসেনের "মোবাইল নাম্বার ২০১৯ পেপসি ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ড্র ইন ইউকে- তে পাঁচ লাখ পাউন্ড বিজয়ী হয়েছে"। "এখন টাকাটা পেতে হলে তার নাম, বয়স ও ফোন নাম্বার ই-মেইল করে জানাতে হবে।" আর এই বার্তাটি এসেছে বাংলাদেশেরই একটি মোবাইল নাম্বার থেকে। ঘণ্টা দুয়েক পর তিনি তার ফেসবুকে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিলে সেখানেই আরও কয়েকজন মন্তব্য করেন যে তারাও একই ধরনের বার্তা পেয়েছেন। মিস্টার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "এ ধরণের লটারি বিজয়ের খবর দিয়ে আগে অনেক ই-মেইল আসতো। কিন্তু এবার এসএমএস, তাও আবার লোকাল নাম্বার থেকে আসায় খুবই আশ্চর্য হয়েছি।" "আমি জানি এগুলো প্রতারকদের কাজ। তাই আর গুরুত্ব দেই নাই। তবে ফেসবুকে দিয়েছি যদি ফোন কোম্পানির কারও নজরে আসে তাহলে তারা চাইলে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে।" তবে যে নাম্বারটি থেকে বার্তাটি এসেছে সে নাম্বারে কল দিয়ে সেটি বন্ধ পেয়েছেন তিনি। পরে বিবিসি থেকেও ওই নাম্বারে কল দিয়ে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সিলেট শহরে প্রাইভেট কার চালক রফিক আহমেদ বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করে জানিয়েছিলেন যে তিনিও এ ধরণের প্রতারণামূলক এসএমএস পেয়েছিলেন গত মাসেই। কয়েকমাস আগেও একবার এগুলো পেয়েছিলেন তিনি। পরে বিবিসি বাংলা থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হলেন তিনি বলেন, "কোকাকোলা কোম্পানি থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড জিতেছি বলে এসএমএস করেছিলো আমাকে। দেখেই বুঝেছি ভুয়া।" যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে কী পড়ানো হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে ঐতিহাসিক অন্যায়ের জন্য কি কোন রাষ্ট্রের ক্ষমা চাওয়া উচিত? ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল? সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল? মোবাইলে এ ধরণের বার্তা পান অনেকেই প্রতারণার নানা ধরণ: মোবাইলে লাখ টাকার লটারি জেতার প্রতারণামূলক বার্তার মতো কেউ প্রতারণার শিকার হয়েছে কি-না জানতে বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট দেয়ার পর সেখানে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত এ ধরনের হরেক রকম প্রতারণাপূর্ণ বার্তা পাচ্ছে মানুষ। মো: কামাল হোসেন মুন্সি লিখেছেন, তাকে দেয়া বার্তায় লেখা হয়েছিলো "যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকে এক মিলিয়ন ডলার জিতেছে তার মোবাইল নম্বর। পুরস্কার দাবি করতে তার বৃত্তান্ত পাঠাতে একটি ইমেইল ঠিকানা দেয়া হয়েছে"। আর রহমান মাসুকুর লিখেছেন: "প্রায় ১৯ বছর আগে আমি প্রথম ইয়াহুতে মেইল ওপেন করেছিলাম সেই মেইলে একবার লটারি জিতেছিলাম৷ তারপর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদেরকে পাকরাও করা হয়েছিল ৷ তারা ছিল নাইজেরিয়ান৷ তখন আমি যে দেশটিতে বসবাস করতাম সেখানে অনেক উচ্চপদস্থ লোকদের সাথে আমার পরিচিতি ছিল।" আব্দুল হামিদ লিখেছেন: "আমার মোবাইলে বেশ কিছুদিন পূর্বে রাত প্রায় ৩টার সময় একটি কল আসে, আমি রিসিভ করার পর এক অদ্ভুত কণ্ঠে সালাম দিয়ে তার পরিচয় দিলো সে জীন জগতের বাদশা।" "সে আমাকে বিভিন্ন ইসলামি উপদেশ দিতে লাগল আর আমি প্রতিটি কথায় হু বলে সায় দিয়ে যাচ্ছি এবং আরো অনেক মাজার সংক্রান্ত ধর্মীয় কথা বলল।" তিনি আরো লিখেছেন, "যেটাতে হু বলা লাগে সেখানে হু বলি আর যেখানে হু বলা লাগেনা সেখানেও হু বলি, তখন সে অনেকক্ষন চেষ্টা করার পরেও যখন দেখল আমি শুধু হু,হু করছি তখন সে গালি দিয়ে লাইন কেটে দিলো।" ফেরদৌস মোস্তফা নামে একজন লিখেছেন, তাকে কল দিয়ে বলা হয়েছিলো যে তিনি লটারিতে গাড়ি পেয়েছেন। গাড়ি পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। যদিও সে টাকা তিনি দেননি। মো: শামসুল নায়েম লিখেছেন, "আমাকে কল দিয়ে বলছে স্যার আপনি ৫০,০০০ টাকা পেয়েছেন আপনাকে আমাদের বিকাশ নাম্বারে ১,০০০টাকা দিতে হবে, তাহলেই পেয়ে যাবেন।" "তখন আমি বললাম ভাই আমি তো একটু দূরে আছি আমার নাম্বার ২০ টাকা লোড দেন আর আপনার বিকাশ নাম্বার দেন।" নোমান খান লিখেছেন: "অনেকদিন আগের কথা, আমারে কইছিলো আমি না কি ভাগ্যবান লোক, বগুড়ার গায়েবি মসজিদের হুজুর নাকি স্বপ্নে আমার নামে চল্লিশটা মোহর ভর্তি সোনার কলস দেখছে।" "সেটা নিতে হলে আমারে নাকি পাঁচ হাজার টাকা ওনাদের নম্বরে বিকাশ করতে হবে। আমি জানি এ সব বাটপারি ছাড়া আর কিছু না, আমি ওই কলার কে বলছিলাম একটা সোনার কলস বেচে তার ১/২ পারসেন্ট আমারে দিতে। পরে ফোন অফ পাইছিলাম।" আপনার অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন এখানে বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় ফোনে প্রতারণা নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন ফোন কোম্পানি বা পুলিশের করণীয় কিছু আছে? কোম্পানিগুলো বলছে, এ ধরণের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় কিছু নেই। দুটি টেলিকম কোম্পানি দুজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, একজন গ্রাহক আরেকজন গ্রাহককে কী ধরণের বার্তা দেয় সেটি কোম্পানিগুলোর দেখার সুযোগ নেই। তাই তারা মনে করে গ্রাহকদের সচেতনতাই এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একজন কর্মকর্তা বলেন, "কেউ যদি স্বকণ্ঠে ফোন কোম্পানির পরিচয় দিয়ে কথা বলে লটারি জয় কিংবা পুরষ্কারের কথা বলে তাহলে সাথে সাথে সেটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো যেতে পারে। তবে কোনো ভাবেই কারও উচিত হবেনা প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়া।" আর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এ ধরণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরই সতর্ক থাকতে হবে। "কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রতারণার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে নিশ্চয়ই পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।" "তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কল দিলে বা দেশের বাইরে থেকে ই-মেইলে প্রতারণার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন।" আরো পড়ুন: বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফেরতে টাকা দেবার উদ্যোগ র‍্যাঙ্কিংয়ে দুর্বল বাংলাদেশী পার্সপোর্ট - যে অর্থ বহন করে
ঢাকার গ্রীন রোডের বাসিন্দা সৈয়দ জাকির হোসেন পেশায় ফটো সাংবাদিক। আজ বুধবার সকাল সোয়া দশটার দিকে তার মোবাইলে একটি টেক্সট বার্তা আসে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রেমডেসিভির নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা হয়েছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ হিসেবে গিলিয়াড সায়েন্সেসের তৈরি রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এই ওষুধের প্রয়োগ বেশী অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময়কাল চার দিন পর্যন্ত কমাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গিলিয়াড সায়েন্সের সাথে 'চমকপ্রদ' এক চুক্তি চূড়ান্ত করেছেন, যার আওতায় গিলিয়াডের চলতি জুলাই মাসে উৎপাদন করা পাঁচ লক্ষ ডোজের শতভাগ এবং অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে উৎপাদিত ওষুধের ৯০ শতাংশ কিনে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিবিসি নিউজ অনলাইন জানাচ্ছে, কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় গড়ে রেমডেসিভিরের ৬.২৫টি ভায়াল প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে রেমডেসিভিরের পেটেন্টের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের - অর্থাৎ গিলিয়াড সায়েন্সের - আগামী তিন মাসের উৎপাদিত হতে যাওয়া রেমডেসিভিরের প্রায় পুরোটাই আগাম কিনে ফেলেছে দেশটি। বিবিসি'র খবরে অবশ্য বলা হয়েছে, বিশ্বে যা পরিমান রেমডেসিভির সরবরাহ করা হবে, তার প্রায় সবটাই যুক্তরাষ্ট্র কিনে নিচ্ছে। রেমডেসিভিরের পেটেন্টের মালিকানা গিলিয়াড সায়ন্সেস-এর, অর্থাৎ শুধুমাত্র তাদেরই এই ওষুধ তৈরির অধিকার রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় নাম থাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী এই ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ওপর প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন আটটি স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিকে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রেমডেসিভির উৎপাদন করে বিক্রিও শুরু করছে বলে জানা গেছে। ওষুধটি প্রথমে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, নভেল করোনাভাইরাস সহ আরো কিছু ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে যেভাবে বংশবৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, সেই প্রক্রিয়াটি কিছুটা হলেও থামানোর সক্ষমতা রয়েছে এই ওষুধের। বলা হচ্ছে, এই ওষুধের প্রয়োগ বেশী অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময়কাল চার দিন পর্যন্ত কমাতে পারে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
আগামীতে যত রেমডেসিভির সরবরাহ করা হবে, তার প্রায় শতভাগই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কেনা নিশ্চিত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
স্টুডিওতে বসে রয়েছেন লানা সেখানে হাজার হাজার নারী ক্যাম-গার্ল হিসাবে হিসাবে কাজ করছেন, যারা বাড়ি বা স্টুডিওতে বসে এই কাজ করেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী এই মার্কেটের বেশিরভাগ ক্রেতাই উত্তর আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপের। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান, স্টুডিও২০তে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা। এই প্রতিষ্ঠানটির রুমানিয়াতেই নয়টি শাখা রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা' উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? 'রিফিউজি' থেকে ভারতীয় হয়ে ওঠার ৭০ বছর বুখারেস্টের একটি বহুতল ভবনের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন তরুণী। তারা হাসছেন, কথা বলছেন। এই ভোরের বেলাতেও তাদের মুখে কড়া মেকআপ। ভবনটির নিচতলার দুইটি ফ্লোর নিয়ে স্টুডিও ২০ এর অফিস। ভেতরে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে, যেগুলো কড়া রঙে সাজানো। ভেতরে সুন্দর করে সাজানো বিছানা, টেবিল আর সোফা রয়েছে। এখানে রুম বন্ধ থাকা মানে, ভেতরে ব্যবসা অর্থাৎ সরাসরি সম্প্রচার চলছে। সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন একজন ক্যাম-গার্ল ভার্চুয়াল সম্পর্ক আর সাইবার সেক্সের এই দুনিয়ায় এই মেয়েরা মডেল আর তাদের সামনে, ইন্টারনেটের অপর প্রান্তে যিনি বসে আছেন, তিনি মেম্বার বা সদস্য। রুমের এক প্রান্তে একটি বিশাল কম্পিউটার স্ত্রীন। একটি শক্তিশালী ক্যামেরা আর পেশাদারি ক্যামেরা লাইট। এরকম একটি রুমে বসে ছিলেন লানা, প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়তো শত শত চোখ এখন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। লানা বলছেন, এভাবে দেখলেও তার কোন আয় হবে না, যতক্ষণ না কোন গ্রাহক তাকে গো প্রাইভেট বা ব্যক্তিগতভাবে তাকে দেখতে চাইবে। প্রতিদিন আটঘণ্টার লানাকে কাজ করতে হয়। এতে তার মাসিক আয় হয় প্রায় ৪ হাজার ইউরো, যা রোমানিয়ার গড় আয়ের প্রায় ১০ গুণ। পাশাপাশি তার নিয়োগকারী স্টুডিও ২০ আয় করে মাসে একই পরিমাণ ইউরো। আর যে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি আদায় করে, তারা আয় করে এর দ্বিগুণ, মাসে প্রায় ৮ হাজার ইউরো। স্টুডিওর একটি ঘরের দৃশ্য লানা যে ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করেন, সেখানে প্রতিদিন তিন থেকে চার কোটি সদস্য ভিজিট করে। একই সময়ে সেখানে অন্তত কুড়ি হাজার গ্রাহক থাকে। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ওয়েবক্যাম যৌনতার এই দুনিয়ায় ২০১৬ সালে ব্যবসা হয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। গ্রাজুয়েশনের পর একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন লানা। কিন্তু রোমানিয়ার অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তিনি এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। প্রথম দিনের কথা তার এখনো মনে আছে। আমি রুমে একাই ছিলাম, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, শত শত চোখ যেন আমার চারদিকে ঘুরছে। আমি পুরোপুরি বুঝতে পারছিলাম না, তারা কি বলছে, তারা কি চাইছে। এটা ছিল একটা ভীতিকর ব্যাপার। আস্তে আস্তে আমি বুঝতে শিখলাম, কোন কোন ব্যক্তি একজন সম্ভাব্য গ্রাহক হয়ে উঠতে পারে। বলছেন লানা। মডেলদের উৎসাহ দেয়া হয়, তারা যেন গ্রাহকদের প্রতিদিন ম্যাসেজ পাঠায় কিন্তু ব্যক্তিগত সেই সময়গুলোতে আসলে কি ঘটে? লানা বলছেন, বেশিরভাগই আলাপচারিতা। কখনো কখনো আমাকে কিছু ভূমিকা রাখতে হয়। তবে খুব কম সময়ে নগ্ন হওয়া বা যৌনতার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একজন পেয়িং গ্রাহককে যতক্ষণ সম্ভব অনলাইনে ধরে রাখা। এই মেয়েদের জন্য প্রশিক্ষক, মনোবিজ্ঞানী আর ইংলিশ শিক্ষকও নিয়োগ দিয়ে রেখেছে স্টুডিও২০ কর্তৃপক্ষ। এমনকি মেয়েদের ভৌগলিক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়, যাতে বিশ্বের যেকোনো এলাকার গ্রাহকের সঙ্গেই তারা তাদের সেখানকার বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে। স্টুডিও২০ ভেতরের ছবি ইংরেজি প্রশিক্ষক আন্দ্রেয়া বলছেন, মানুষ যেমনটা মনে করে, এটা তেমন শুধুমাত্র যৌনতার ব্যবসা নয়। একজন মডেলকে অনলাইনে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। তবে শুধু মেয়েরা নয়, সমকামীদের জন্য স্টুডিও২০র পুরুষ শাখাও রয়েছে। রুমানিয়ার বাইরে তাদের শাখা রয়েছে কলম্বিয়ার ক্যালে, বুদাপেস্ট আর লস অ্যাঞ্জেলসে। তবে সব মডেল যে স্টুডিওতে এসে কাজ করেন তা নয়। অনেকে তাদের বাড়িতে বসেও ওয়েবক্যামে কাজ করেন। তবে তাদের মাসিক কোন বেতন নেই। প্রতিদিন যতটা কাজ করবে, সেই অনুযায়ী বেতন পাবেন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: রায় নিয়ে আইনগতভাবে লড়বো: আইনমন্ত্রী ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ কিউবার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিডিও সার্ভিস আনছে ফেসবুক
সারাবিশ্বেই ওয়েব ক্যাম বা কম্পিউটারে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে যৌনতা ব্যবসা দিনে দিনে বড় হয়ে উঠছে। তবে এটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে রোমানিয়ায়। সেখানে এটি পুরোদমে একটি যেন শিল্প হিসাবে গড়ে উঠেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
দ্বিতীয় দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী তার দলের মূল নীতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদ থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতৃত্ব দেবেন মোদী, যে দেশটি কাশ্মীর আর দক্ষিণ চীন সাগরের মতো দুইটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে রয়েছে। তিনি এমন এক সময় ভারতকে দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, যখন ভারতের সামনে অনেক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। তার এই বিজয় বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে, এখানে এমন পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হলো: ভারতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরই যুক্তরাজ্যকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত, যাদের রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জরুরি এক বিশাল তরুণ কর্মশক্তি। শুধুমাত্র গত বছরেই বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় কোম্পানিগুলোয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। দেশটিতে অনেক নতুন নতুন সড়ক তৈরি রয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন, গরীবদের জন্য সস্তার রান্নার গ্যাস, গ্রামে পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি, একটি একক বিক্রয় কর, প্রতিশ্রুতিশীল একটি স্বাস্থ্য বীমা নীতি তৈরির মতো অনেক কাজ হয়েছে। তবে শ্লথগতির চাহিদার কারণে এখনো দেশটিতে অনেক অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে কয়েক দশক ধরে চলা বেকারত্ব। আরো পড়ুন: আবার মোদী সরকার: কী প্রত্যাশা হবে বাংলাদেশের? লোকসভা নির্বাচন: যে ১১টি তথ্য জানা দরকার বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব ফাঁস হওয়ার সরকারি তথ্যে জানা যাচ্ছে, বিজেপি সরকারের আমলে বেকারত্বের হার বেড়েছে বাড়তে থাকা অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে দেশটিকে প্রতিমাসে কয়েক লাখ নতুন চাকরি তৈরি করতে হবে, যাতে ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। গত মেয়াদে নরেন্দ্র মোদীর সরকার এটি করতে পারেনি, কিন্তু এবার তাদের তা করতেই হবে। এখন প্রশ্ন হলো, এই নতুন চাকরি তৈরি করতে গিয়ে ভারতকে কি অর্থনৈতিক সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে হতে পারে? জাতীয়তাবাদের লড়াই বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জাতীয়তাবাদের স্লোগান শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন', পুতিনের 'মেক রাশিয়াকে গ্রেট এগেইন', শী জিনপিংয়ের 'চীনের মানুষের নতুন করে জেগে ওঠা'র মতো স্লোগান রয়েছে। মি. মোদীও তার নির্বাচনের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাম ও এবং তার রাজত্বের হারিয়ে যাওয়া গৌরবের স্লোগান ব্যবহার করেছেন। মি. মোদী বলেছেন, ' রাম ছিলেন একজন আদর্শ রাজা এবং তার শাসন ছিল আদর্শ ব্যবস্থা', 'রাম রাজ্য ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জনক এবং বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে' ইত্যাদি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ফিশ্চুলা প্রতিরোধ করতে যা করতে হবে ঢুকতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়ার বন্দি রিফিউজিরা আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়? ধানের দাম: সংকট অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে সরকার? গত পাঁচ বছরে ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রভাব বেড়েছে যদিও বিজেপি নেতারা বরাবরই বলে আসছেন যে, তারা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নন। 'তাদের দল একশো ত্রিশ কোটি ভারতীয়ের জন্যই, ধর্ম নিয়ে তারা কোন বিভেদ করেন না', বলেছেন বিজেপি মুখপাত্র নালিন কোহলি। এখন বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসছে আর যারা হিন্দু জাতীয়তাবাদী পরিচয়ের দাবি করছেন, তাদের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে রামের ছবি। গত নভেম্বরে বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে যে, এরকম একটি জাতীয়তাবাদের পরিচয় তৈরির চেষ্টায় মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছে, ডানপন্থী নেটওয়ার্কে মিথ্যা গল্প তৈরি করা হয়েছে আর সামাজিক মাধ্যমে এরকম একটি বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শক্তিমান ব্যক্তিত্বের রাজনীতি আর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব নরেন্দ্র মোদীকে নিজেদের ম্যানিফেস্টোতে শক্তির প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছে বিজেপি, বিশেষ করে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাটিতে অভিযান চালানোর পর। আগের কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কমে গেলেও, ওই হামলার পর তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। তার সমর্থকরা বরাবরই, তাদের ভাষায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে তৃণমূল থেকে নিজের চেষ্টায় তার উঠে আসার বিষয়কে তুলে ধরেছেন। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু সামনে আসার পর নরেন্দ্র মোদী এবং তার দলের ভোট বেড়েছে বলে বলছেন বিশ্লেষকরা সাধারণ ভারতীয়দের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে যে, তিনি একজন একনিষ্ঠ, কঠোর পরিশ্রমী আর চৌকস ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে ভারত দুইবার পাকিস্তানকে মোকাবেলা করেছে আর একবার চীনকে- যারা এই অঞ্চলের অপর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে চীনের পাল্টা শক্তি হয়ে উঠছে ভারত, বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স। দ্বিতীয় মেয়াদেও যদি মি. মোদী ভারতীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক জোট এবং বন্ধুত্বের পালাবদল দেখা যেতে পারে। ডানপন্থীদের উত্থান ও জনপ্রিয়তা জনপ্রিয় স্লোগান এবং ধারণা নিয়ে ডানপন্থী রাজনীতি করছে বিজেপি। যখন অভিবাসীদের 'পশু' বলে বর্ণনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তখন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ অবৈধ অভিবাসীদের বর্ণনা করেছেন 'উইপোকা' বলে, এবং তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি হিন্দু আর বৌদ্ধ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ারও প্রস্তাব করেছেন। উত্তর প্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস সবুজ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।(সবুজ বলতে ইসলামকে বর্ণনা করা হচ্ছে।) সমালোচকদের মতে, ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য নরেন্দ্র মোদী সামান্যই করেছেন গত পাঁচ বছরে বিজেপির শাসনামলে ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এবং দেশটিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। হয়তো নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসাবেও বিভেদের এসব স্লোগান নেয়া হতে পারে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসাটা কঠিন। আর বাস্তবতা হলো, জনপ্রিয় নেতারা সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের সঙ্গেই থাকেন। ফলে প্রশ্ন হলো, তারা কি আসলে কখনো সেখান থেকে ফিরতে চাইবেন কিনা? জলবায়ু পরিবর্তন গ্রিনপিস এন্ড অ্যানালাইসিসের মার্চ ২০১৯ সালের রিপোর্টে বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ৩০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ২২তম। যদিও চীনের জনসংখ্যাকে ছাড়াতে ভারতের আরো পাঁচবছর সময় লাগবে, তবে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে, সামনের বছর নাগাদ ভারতের পানি, বাতাস, মাটি এবং বনের ওপর চাপের দিক থেকে দেশটি বিশ্বের শীর্ষে উঠে যাবে। ভারতের বায়ুদূষণ অত্যন্ত বেড়েছে একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ঘন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আর লাখ লাখ মানুষের দারিদ্রসীমার নীচে থাকার বিষয়টি নরেন্দ্র মোদীকে কঠিন সংকটের মুখে ফেলতে পারে। অর্থনীতির যেকোনো ধরণের শ্লথগতির ফলে চাকরি বাজারে মন্দা নামবে। অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশটির প্রকৃতির ওপর প্রভাব ফেলবে, যা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে এসব কিছু সত্ত্বেও প্যারিস চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হার আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় দফার মেয়াদ যখন ২০২৪ সালে শেষ হবে, তখন তার দেশ ভারত চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে, যে দেশটি হবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পুরোনো কারাগারের একটি কক্ষে খালেদা জিয়ার বিচারের জন্যে অস্থায়ী এজলাস বসানো হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে মামলার শুনানিতেই অংশ নেন নি। খালেদা জিয়াকে আজ ঐ আদালতে হাজির করা হলে তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়ার কারণে তার পক্ষে বার বার আদালতে আসা সম্ভব নয়। এই আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে খালেদা জিয়া এই পুরোনো কারাগারে বন্দী রয়েছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, পুরোনো কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়টি নিয়ে তারা এখন উচ্চ আদালতে যাবেন। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় ছোট একটি কক্ষে অস্থায়ী আদালতের এজলাস সাজানো হয়েছে জিয়া চ্যারিট্যাবল দুর্নীতির মামলায় শুনানির জন্য। বুধবার বেলা ১২টার দিকে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে সেই আদালতে নেয়া হয়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন,খালেদা জিয়ার পরনে ছিল বেগুনি রঙের শাড়ি। আসামীর কাঠগড়ার সামনে তিনি হুইল চেয়ারেই বসা ছিলেন এবং তাঁর পায়ের উপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। আদালতে তাঁর আইনজীবীরা যাননি। কিন্তু বিএনপি সমর্থক একজন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত কোন দেশে লেখাপড়ার খরচ সবচেয়ে বেশি? দেড়শো কোটি মানুষ কেন অকালে মৃত্যুর ঝুঁকিতে মি: খান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায়ই খালেদা জিয়া আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন এবং ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। "খালেদা জিয়া আদালতে বললেন যে, আমি আর এখানে আসতে পারবো না। আমার মেডিকেল রিপোর্টগুলো এখানে জমা আছে। আপনারা দেখেন রিপোর্টে কী আছে, আমার অবস্থাটা কীরকম। আমাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে। আমি আর আসবো না।" "খালেদা জিয়া আরও বলেছেন, এখানে ন্যায় বিচার নেই। যা ইচ্ছা তাই সাজা দিতে পারেন। যত ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন। আমি অসুস্থ। আমি বার বার আদালতে আসতে পারবো না।" আধা-ঘন্টারও কম সময় চলেছে আদালতের কার্যক্রম। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা না আসায় আদালত ১২ এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে। পুরোনো কারাগারকে ঘিরে পুরো নাজিমউদ্দিন রোডে নেয়া হয়েছিল পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ এবং কারারক্ষীদের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ঐ আদালতে যেতে হয়। আদালতের এই এজলাস থেকে অল্প দূরত্বেই খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে গিয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ৪০ লাখ পাউন্ডের লটারি যেভাবে বদলে দিল মেলিসার জীবন 'চলো আমরা সিরিয়ায় ঢুকে বাশার আসাদকে মেরে ফেলি' সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস তাঁর একজন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ করেছেন, পুরোনো এই কারাগারের ভেতরে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের সময়েও কখনও কারও বিচারের জন্য আদালত বসানো হয়নি। তিনি বলেছেন, "একটি মামলায় সাজা হওয়ার কারণে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে, সেজন্য পরিত্যক্ত পুরোনো ঐ কারাগারকে আবার কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারগারের ভিতরে আদালত বসানোকে আইনের পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি। এছাড়া সেখানে আদালত বসানোর নোটিশ আমাদের দেয়া হয়নি। সেজন্য আমরা ঐ আদালতে শুনানিতে যাইনি।" তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, "খালেদা জিয়া পুরোনো কারাগারের যে অংশে রয়েছেন, সেই অংশটুকুই শুধু জেল হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এছাড়া এ কারাগারে এখন জাদুঘরসহ মানুষের বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো উন্মুক্ত। ফলে ফৌজাদারি বিধি অনুযায়ী চিহ্নিত কারাগারের বাইরে আদালত বসানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের এই নোটিশও পাঠানো হয়েছে।" এসব বিতর্কে জড়িয়েছেন দু'পক্ষের সিনিয়র আইনজীবীরাও। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিচার কার্যক্রম সরকার দ্রুত শেষ করতে চায়। সেকারণে কারাগারের ভিতরে আদালত বসানো হয়েছে বলে তারা মনে করেন। খালেদা জিয়ার সিনিয়র আইনজীবীরা বুধবার এক বৈঠক করে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বলছেন, কারাগারের ভেতরে আদালত বসানোর সরকারি প্রজ্ঞাপন বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে হাইকোর্টে তারা প্রতিকার চাইবেন। সরকার বলেছে, মামলাটির শুনানিতে গত ছয় মাসে খালেদা জিয়াকে পুরোনো ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় অবস্থিত আদালতে হাজির করা যায়নি। সেকারণে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, এর ফলে শুনানিতে খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার হাজিরা দেয়ার সুবিধা এবং নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইন অনুযায়ী সেখানে অস্থায়ী আদালত বসানো হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ ৩৪টি মামলায় খালেদা জিয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। দু'টি মামলায় এখনও জামিন হয়নি। এই মামলা দু'টি হচ্ছে কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সেই বাসে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলা।
বাংলাদেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এক দুর্নীতির মামলার বিচারের জন্য আজ ঢাকা পুরোনো কারাগারের ভেতরেই আদালত বসানো হয়েছিল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
গ্রামীণ ফোন নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এই টেলিকম কোম্পানিকে এসএমপি ঘোষণা করেছিলো বিটিআরসি। পরে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি এসএমপির ক্ষেত্রে করণীয় বা বর্জনীয় বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয়া হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিলো টেলিযোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটির একচ্ছত্র ব্যবসায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখা। তবে তা পহেলা মার্চ থেকে কার্যকরের ১৯ দিনের মাথায় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বিবিসি বাংলাকে জানানো হয়েছে, আগের নির্দেশনাগুলো প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিটিআরসির চিঠি তারা পেয়েছে। কী ছিল আগের নির্দেশনায়? বিটিআরসি গত ফেব্রুয়ারিতে যে নির্দেশনা দিয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিলো গ্রাহকের জন্য গ্রামীণের লকিং পিরিয়ড হবে তিন মাসের বদলে একমাস আর প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে কোনো স্বতন্ত্র ও একক স্বত্বাধিকার চুক্তি করতে পারবেনা। এছাড়া আর কোয়ালিটি অফ সার্ভিস বা সেবার মানের বিষয়ে মাসে কল ড্রপের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ। আর কোনো ধরণের কোনো মার্কেট কমিউনিকেশনস অর্থাৎ মার্কেটিং সম্পর্কিত কোনো প্রচার করতে পারবেনা কোনো মাধ্যমেই। মার্কেট কমিউনিকেশনস বলতে বোঝানো হয়েছিল যে কোনো মাধ্যমে মার্কেটিং সম্পর্কিত কোন প্রচার প্রচারণা চালানো যাবেনা। যেমন -অফার বা প্যাকেজের বিজ্ঞাপন দেয়া যাবেনা। এমনকি এসএমএস করে গ্রাহকদের যেসব অফার দেয় গ্রামীণ সেটিও আর করা যাবেনা। বিটিআরসি মুখপাত্র জাকির হোসেন খান তখন বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, "আমরা একটা মার্কেট ব্যালেন্স করার জন্য, বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতকে সুশৃঙ্খল, প্রতিযোগিতামূলক ও সবার জন্য সমান করার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছি"। নির্দেশনা লঙ্ঘন হলে বিটিআরসি আইন অনুযায়ী জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রাখে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আরো পড়ুন: গ্রামীণফোনের ওপর বিজ্ঞাপন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কেন? মোবাইল অপারেটর কেন পরিবর্তন করছে গ্রাহকরা আপনার মোবাইল কি গোয়েন্দাগিরি করছে? বিটিআরসির নতুন চিঠি। নতুন করে ২০ নির্দেশনা সম্পর্কে বক্তব্য চায় বিটিআরসি এর আগে বিটিআরসি বিবিসিকে বলেছিলো যে তাদের নির্দেশনাগুলো পহেলা মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আর নতুন করে তারা চিঠি প্রত্যাহারের চিঠি দিলো ১৯শে মার্চ। চিঠিতে বলা হয়েছে, "...গত ১৮-০২-২০১৯ তারিখ জারিকৃত নির্দেশনা পত্র দুটি বাতিল করত: প্রত্যাহার করা হলো।" তবে ১৯শে মার্চের চিঠিতে আগের নির্দেশনা বাতিল করলেও নতুন করে ২০টি বিষয়ে গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে এক বা একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে আছে ভয়েস ট্যারিফ, এমএনপি লকড পিরিয়ড, তরঙ্গ মূল্য, অবকাঠামো শেয়ারিংর মতো বিষয়গুলোও। এসব বিষয় গ্রামীণফোনের বক্তব্য থাকলে সেটি কমিশনকে জানাতে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। বিটিআরসি মুখপাত্র জাকির হোসেন খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, গ্রামীণেফোনকে এসএমপি ঘোষণা বহাল আছে। "আগে চিঠি প্রত্যাহার করে নতুন করে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও প্রবিধান মোতাবেক পরবর্তীতে নির্দেশনাগুলো আসবে।" কেনো পিছু হটল বিটিআরসি? বিটিআরসি বলছে, আইনি কিছু কারণে তারা আগের চিঠি প্রত্যাহার করে নতুন চিঠি দিয়েছে। গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিটিআরসির চিঠি পাওয়ার পর তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিলো যে নিয়মানুযায়ী নির্দেশনা দেয়ার আগে যে সময় দেয়ার কথা ছিলো সেটি তখন গ্রামীণফোনকে দেয়া হয়নি। বিটিআরসি মুখপাত্র জাকির হোসেন খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, আইনি কাঠামো আর শক্তিশালী করতেই আগের চিঠি বাতিল করে নতুন চিঠি দেয়া হয়েছে গ্রামীণফোনকে। গ্রামীণফোনকে দেয়া বিটিআরসিরি চিঠির একাংশ। গ্রামীণফোন কেনো এসএমপি ঘোষণা করা হয়েছিলো কেনো? বাংলাদেশে টেলিকম খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। সঙ্গত কারণেই গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্বের দিক থেকেও তারাই এগিয়ে আছে। টেলিযোগাযোগ খাতে কেউ একচ্ছত্র ব্যবসা মূলত এই প্রতিষ্ঠানটির হাতে। আর সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবেই গত নভেম্বরে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা (এসএমপি) প্রবিধান ঘোষণা করে বিটিআরসি। ওই প্রবিধানের ৭/১১ ধারা অনুযায়ী, তিনটি নিয়ামকের একটি যদি ৪০ ভাগের বেশি থাকে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান এসএমপি ঘোষিত হবে। নিয়ামক বা ক্যাটাগরি তিনটি হলো- গ্রাহক, অর্জিত রাজস্ব ও তরঙ্গ। এরপর গত ১০ই ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোন বা জিপি কে এসএমপি ঘোষণা করা হয়, কারণ জিপির গ্রাহকসংখ্যা মোট গ্রাহকের ৪০ ভাগের বেশি। এছাড়া অর্জিত রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও বাজারের মোট রাজস্বের ৪০ ভাগের বেশি এই কোম্পানিটির। তবে তরঙ্গ ব্যবহারের দিক থেকে কোনো কোম্পানিই ৪০ভাগ অতিক্রম করতে পারেনি। তাই গ্রাহক ও রাজস্ব আয়ের ভিত্তিতে এসএমপি ঘোষণা করা হয় গ্রামীণফোনকে। জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংযোগ আছে ১৫ কোট ৩০ লাখের মতো এবং এর মধ্যে ৪৬ শতাংশই গ্রামীণফোনের। আর মোট রাজস্বের ৫০ ভাগেরও বেশি নরওয়ের এই কোম্পানিটির। নতুন চিঠির বিষয়ে গ্রামীণ ফোনের বক্তব্য গ্রামীণ ফোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান বিবিসি বাংলাকে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গ্রামীণফোন এর উপর আরোপিত এসএমপি নির্দেশনাসমূহ প্রত্যাহার করায় বিটিআরসিকে স্বাগত জানাই।" "গ্রামীণফোন বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করে। সর্বোত্তম টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাব, যা সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গঠনের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: টাকার অঙ্কে জীবনের মূল্য আসলে কত? কম্পিউটার পাসওয়ার্ডের উদ্ভাবন ও হ্যাক করার ইতিহাস বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদ প্রতিহত করার আহ্বান আরডার্নের নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন যে দলিত যুবক
গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা এসএমপি ঘোষণা করে দেয়া নির্দেশনাগুলো কার্যকরের ১৯ দিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন বা বিটিআরসি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সামারা অ্যারেনাতে অনুশীলন করছেন নেইমার বিশ্বকাপ থেকে শনিবার দুই কিংবদন্তি মেসি এবং রোনাল্ডোর বিদায়ের পর, সোমবার আরেক তারকার ভাগ্যে কী ঘটে তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত হতে পারছে না। তাকেও কি আগাম ফ্লাইট ধরতে হতে পারে? ব্রাজিলের ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা বলেছেন, প্যারি সঁ জার্মেইনের (ফরাসী ক্লাব) সতীর্থ এমবাপে (ফ্রান্স) এবং কাভানির (উরুগুয়ে) মত নেইমারও আজ (সোমবার) জ্বলে উঠবেন। নেইমার, থিয়াগো, এমবাপে এবং কাভানি- এরা সবাই পিএসজি ক্লাবে খেলেন। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে থিয়াগো সিলভা বলেন, "তারাই (এমবাপে এবং কাভানি) শনিবার নিজ নিজ দলের বিজয়ের পেছনে মূল শক্তি ছিলেন।" "(শনিবার) ফ্রান্স এবং উরুগুয়ের ম্যাগুলো দেখার পর আমার একটা কথাই মনে হয়েছে, আমাদের ম্যাচেও নেইমারও তার পিএসজি সতীর্থদের পথে হাঁটবেন।" ব্রাজিলের কোচ টিটেও নেইমারের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী এবং কোচ মনে করেন, নেইমার এখন আবার তার সেরা ফর্ম ফিরে পেয়েছেন। টিটে বলেন, "সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সেই খুবই ভালো খেলেছে...যে কৌশল অনুসরণ করতে আমি তাকে বলেছিলাম, সে তা করতে পেরেছিলো, ফুল ব্যাককে সাপোর্ট করেছে, বল নিয়ে ড্রিবল করে দৌড়েছে, গোল পাওয়ার চেষ্টা করেছে।" মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও আশা করেন ফুটবলের স্বার্থে রেফারি নেইমারের ওপর নজর রাখবেন মেক্সিকো শিবিরে নেইমার-আতঙ্ক কতটা? মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও বিশ্বাস করনে আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে তারা সোমবার ব্রাজিলকে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে যাবেন। তিনি বলেন, "ব্রাজিল খুব ভালো দল, কিন্তু আমরা বসে বসে তাদের খেলা দেখবো না।" ডাইভার হিসাবে দুর্নাম রয়েছে নেইমারের। সে কারণে, নেইমারের ওপর নজরদারির জন্য তিনি কি সোমবার রেফারির (ইটালির জিয়ানলুকা রচ্চি) সাহায্য কামনা করেন? উত্তরে মেক্সিকোর কোচ বলেন, - "ফুটবলের স্বার্থে, ন্যায্যতার স্বার্থে ম্যাচটি ভালোভাবে পরিচালিত হবে বলে আমি আশা করি।" ব্রাজিল-মেক্সিকোর লড়াইয়ের ইতিহাস কোনো বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল মেক্সিকোর কাছে হারেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে মেক্সিকো এগিয়ে। ব্রাজিলের সাথে তাদের শেষ ১৫টি ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে মেক্সিকো। পাঁচটি জিতেছে ব্রাজিল। দুটি ড্র হয়েছে । সেই ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি যদি হয়, তাহলে জার্মানি, আর্জেন্টিনা, এবং স্পেনের মত আরো একটি অঘটন সোমবার ঘটতেই পারে। আরও পড়ুন: খেলার আগে পুতিনের ফোনই কি রাশিয়ার সাফল্যের রহস্য? এক বাসায় ১১ জনের লাশ: কারণ ‘রহস্যময় রীতি’ পালন!
ফুটবলের জগতে লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর তারকা খ্যাতির তালিকায় যিনি আসেন তিনি ব্রাজিলের নেইমার। এ নিয়ে খুব বেশি বিতর্ক নেই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম (ফাইল ফটো) পুলিশ বলছে, নিহত বিনয় চাকমা জংলী পাহাড়িদের সংগঠন জনসংহতি সমিতি বা জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের সাবেক কর্মী। এনিয়ে গত ছয় মাসে পাহাড়ে মোট ১৯ জন নিহত হল। পুলিশের ধারণা আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাতের ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গত মাসের শুরুতে পরপর দুইদিনে দুটি সশস্ত্র হামলায় মোট ছয়জন নিহত হবার পর, সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ শুরু হয়। এই অস্থিরতা এবং সংঘাতের জন্য সেখানকার আঞ্চলিক সংগঠনগুলো একে অপরকে দায়ী করে থাকে। বিনয় চাকমা জংলীর হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রতিদ্বদ্বী ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে তার দল জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, মূলত আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এই সংঘাতের প্রধান কারণ। একই মত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ানেরও। "তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই আছে। এছাড়া শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের মধ্যে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ, মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোই মূল কারণ।" গত কয়েক মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে ঐ এলাকায় অস্থিরতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং অন্তর্কলহের বিষয়টিও অনেকটাই প্রকাশ্য। কিন্তু তা ঠেকানোর জন্য সরকারের সংস্থাগুলোর তেমন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ শোনা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন সদস্য গৌতম কুমার চাকমা বলেছেন- সংঘাত নিরসনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, পরিষদের নয়। জনসংহতি সমিতি নেতা সন্তু লারমা। দলে অন্দর্দ্বন্দ্ব দিন দিন বাড়ছে। "আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের, তাদের সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীও দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর দ্বন্দ্ব তো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আঞ্চলিক পরিষদ একটি সরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক বিষয়ে আঞ্চলিক পরিষদের কিছু করার নেই। " তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুসারে পরিষদের কাজের মধ্যে রয়েছে - পার্বত্য জেলাগুলোর সাধারণ প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধন করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ঐ অঞ্চলে দ্বন্দ্ব সংঘাত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে উপজেলা এবং থানা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব মো নুরুল আমিন। "আমরা সেখানকার জেলা প্রশাসক ও চেয়ারম্যানদের লিখেছি সংঘাত যেন না হয় সে ব্যবস্থা নিতে। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ৭২টির মধ্যে প্রায় ৪৮টি অনুচ্ছেদ বাস্তবায়ন করেছি।" "এখন বাকি আছে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো, সেগুলোও শীঘ্রই বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি।" তবে সংঘাত নিরসনে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোন চিন্তা এখনো সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মিঃ আমিন। ইতিহাসের ভয়াবহ পানি সংকটের মুখে ভারত বিশ্বকাপ ২০১৮: লাল কার্ড-হলুদ কার্ড যেভাবে এলো মুসলিম বিশ্বে ঈদুল ফিতরের দিনে জনপ্রিয় কিছু খাবার
বাংলাদেশের রাঙামাটিতে আঞ্চলিক দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে শুক্রবার একজন নিহত হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বর্তমানে ২৬ হাজারের কিছু বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবশেষে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘোষণা এলো: প্রায় ৩,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেয়া হবে। এমপিওভুক্তি আসলে কী? মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ যে অর্থ সরকার দিয়ে থাকে তাকে ইংরেজিতে বলা হয় মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল অনুযায়ী এই সহায়তা দেয় সরকার। শিক্ষকদের সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ: শাহজাহান আলম সাজু বলছিলেন, সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতন পান একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। তাতে প্রধান শিক্ষকের বেতন দাড়ায় ২৯ হাজার টাকা। একজন সাধারণ শিক্ষকের বেতন ১৬ হাজারের মতো। এর বাইরে রয়েছে বাড়িভাড়া হিসেবে এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। ঈদ উৎসব ভাতা শিক্ষকদের জন্য বেতনের ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীদের জন্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পহেলা বৈশাখেও একই পরিমাণে উৎসব ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। এমপিওভুক্ত হতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। এমপিওভুক্ত হতে হলে যে যোগ্যতা লাগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সরকার প্রায় তিন হাজার নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। তবে আবেদন পড়েছিলো ৯ হাজারের বেশি। সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে তাতে কোন রকমে পাঠদান করলেই হবে না। এমপিও সুবিধা পেতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা: ৬৫% শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারেনা শিক্ষা ব্যবস্থায় কোচিং নির্ভরতা কেন এ পর্যায়ে পৌঁছেছে? কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণে আনতে নীতিমালা আসছে মোঃ: শাহজাহান আলম সাজু বলছেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাশের হার অনুযায়ী সেটি নির্ধারিত হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হতে হল কলেজ পর্যায়ে অন্তত ৬০ জন পরীক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে তা ৪০ জন। কিন্তু যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পাশের হার থাকতে হবে। মাদ্রাসার জন্য তা ৬০ শতাংশ। সরকারের খরচ কেমন হয়? মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নতুন ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিলে বর্তমানে ২৬ হাজারের কিছু বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাতে রয়েছেন পাঁচ লাখের মতো শিক্ষক ও কর্মচারী। এই অর্থবছরে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এমপিও সুবিধা হিসেবে এক হাজার কোটি টাকার মতো বরাদ্দ রেখেছে। গত অর্থ বছরে তা ছিল এর অর্ধেকের মতো। এমপিওভুক্তির দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করেছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষার মান কতটা উন্নত হচ্ছে? এমপিও মূলত শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিষয়। তাতে শিক্ষকেরা পাঠদানে আরও মনোযোগী হওয়ার প্রণোদনা পান কিনা, শিক্ষার মান উন্নয়ন হয় কিনা সেনিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলছেন, "শিক্ষকদের সাহায্য করা মানেই শিক্ষার মান উন্নয়নে সাহায্য করা। তাকে তো বেঁচে থাকতে হবে?" অন্যদিকে মোঃ: শাহজাহান আলম সাজু, "শিক্ষক যদি খেয়ে পরে মান মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে না পারেন, তাহলে সে ভালো করে পাঠদান কিভাবে করবে?" তবে শিক্ষা বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন-এর প্রধান রাশেদা কে চৌধুরী বলছেন, "এমপিওভুক্ত হলেই শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে তার নিশ্চয়তা কিন্তু কেউই দিতে পারছে না। এমপিওভুক্ত হওয়ার পরেও অনেক বিদ্যালয় ভালো ফলাফল করতে পারে না।" সঠিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী নির্বাচিত হয়েছে? এমপিওভুক্তির জন্য বছর বছর শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন। শিক্ষার মান কতটা উন্নত হচ্ছে সেনিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু একই সাথে মন্ত্রণালয়ে দেন-দরবার, রাজনৈতিক বিবেচনা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ার নানা অভিযোগ রয়েছে। এনিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলছেন, "প্রাপ্যতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী এতদিনে অনেক প্রতিষ্ঠানেরই এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা। এই দীর্ঘ দিনে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের একটা বৈষম্য তৈরি হয়েছিলো। সেই অর্থে শিক্ষায় এমন বিনিয়োগকে আমি সাধুবাদ জানাই।" কিন্তু তিনি বলছেন, "সরকারি নীতিমালায় যে প্রাপ্যতা ও যোগ্যতার কথা বলা হয় আমরা আশা করছি যাদের এমপিওভুক্ত করা হয়েছে তাদেরকে সেটির ভিত্তিতে করা হয়েছে।" কোচিং বাণিজ্য কি বন্ধ হবে? রাশেদা কে চৌধুরী বলছেন, কোচিং বাণিজ্যের কারণে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান দুর্বল হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, "সরকারের একটি নীতিমালা আছে শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য করতে পারবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা নিজেরা সরকারের এসব নীতিমালা কতটা অনুসরণ করবেন সেটা দেখা অত্যন্ত প্রয়োজন।" এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারের দেয়া অর্থ সহায়তা পাওয়ার পরও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য খবর: ভারত সফরের ক্যাম্পে আসেনি কোনো ক্রিকেটার তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে কোন কোন দেশ যুক্তরাজ্যে একটি লরি থেকে ৩৯ মৃতদেহ উদ্ধার থাই রাজার সঙ্গী সিনিনাত যে কারণে পদবি খোয়ালেন
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে বহুদিন ধরে শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন। গত প্রায় ১০ বছর ধরে নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেনি সরকার।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কোচিতে অভিযুক্ত বিশপের বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের ভীড়। কেরালার কোচিতে বেশ কয়েকজন নান এই দাবি নিয়ে পথে নামলেও অভিযুক্ত যাজককে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, পুলিশ তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। ইতিমধ্যে ওই বিশপ বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন ও নারীবাদী অ্যাক্টিভিস্টরা অবশ্য আন্দোলনকারী নান-দের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। ভারতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন এখন এতটাই কড়া যে কোনও ধর্ষিতা নারী পুলিশে অভিযোগ করা মাত্র অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে আইনত বাধ্য। অথচ রোমান ক্যাথলিক চার্চের একজন নান বেশ কিছুদিন আগে জলন্ধরের বিশপ ফ্রাঙ্কো মুল্লাক্কালের বিরুদ্ধে টানা দুবছর ধরে তাকে অন্তত ১৩বার ধর্ষণ করার মারাত্মক অভিযোগ আনলেও পুলিশ এখনও ঐ যাজককে আটক করেনি। বিশপকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কোচিতে কেরালা হাইকোর্টের কাছেই গতকাল মঙ্গলবার থেকে ধরনায় বসেছেন সন্ন্যাসিনীরা। সন্যাসীরা বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে গুজবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে সরকার ছিনতাইকারী ধরে পুরস্কার পেলেন ঢাকার যে তরুণী যৌনতার বিনিময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে চান বাড়ি মালিক সিস্টার অনুপমা নামে একজন নান বলছিলেন, "আমরা ন্যায় বিচার চাই - আর তাই বিশপকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা দোষী, তাদের শাস্তি পেতেই হবে - আমরা শুধু এটুকুই বলছি।" "আমরা আমাদের চার্চে সিস্টার রেজিনার মতো সিনিয়র নানদের কাছেও বোন-সুলভ বা মাতৃ-সুলভ সহানুভূতি পাইনি, তারাও চার্চের পুতুলের মতো ব্যবহার করছেন। এখন আমাদের দাবি আদায়ে যতদূর যেতে হয় আমরা যাব।" যে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন, ইতিমধ্যে তার চরিত্র নিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষ নানা কুৎসা প্রচার করছেন বলেও বলা হচ্ছে। কেরালার একজন স্বতন্ত্র খ্রিষ্টান এমএলএ সাংবাদিক বৈঠক করে ঐ নানকে যৌনকর্মী বলেও গালাগাল দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়ও উঠেছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা যেমন বলছেন, "দেশের যে আইন প্রণেতাদের নির্যাতিতা নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, তারা যখন এ ধরনের মন্তব্য করেন তখন আমাদের লজ্জায় মাথা কাটা যায়।" প্রবীণ বামপন্থী নেত্রী সুভাষিণী আলিও আন্দোলনকারী নানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মিজ আলির কথায়, "সন্ন্যাসিনীরা যখন এভাবে নিজের সংগঠনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন, তার জন্য আসলে অনেক সাহস লাগে। এটা বুঝতে হবে - একদিন নয়, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে তারা চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেই আজ তারা নিজেদের চার্চের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন।" নীরব প্রতিবাদ তবে মিজ আলির দল সিপিএমই এখন কেরালার ক্ষমতায়, কিন্তু কেরালার প্রভাবশালী ক্যাথলিক খ্রিষ্টান লবির চাপেই তারা অভিযুক্ত বিশপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে - এই অভিযোগও উঠছে। এদিকে এই মুহূর্তে পাঞ্জাবে থাকা অভিযুক্ত যাজক বিবিসির কাছে দাবি করেছেন তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। বিশপ ফ্রাঙ্কো মুল্লাক্কাল বলছেন, "এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও এমনভাবে সাজানো যাতে লোকে বিশ্বাস করে।" "কিন্তু এরকম কিছুই কখনও ঘটেনি - ওই নানকে কেন, আমি পৃথিবীর কোনও নারীকেই ধর্ষণ করিনি একথা আমি বাইবেল ছুঁয়ে বা নিজের বিবেক স্পর্শ করেও বলতে রাজি। কেউ যদি আমায় ধর্ষণকারী বলে প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি!" তবে নানরা কোচির রাজপথে নেমে আন্দোলন শুরু করায় যে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে সন্দেহ নেই, আর তার মুখে আজ বুধবার জলন্ধরের ওই বিশপকে জেরার জন্য সমন করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারতে রোমান ক্যাথলিক চার্চের একজন নান বা সন্ন্যাসিনী ঐ চার্চেরই একজন বিশপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নান-রা আন্দোলন শুরু করেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সারাবিশ্বে ৭টি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরির কার্যক্রম চালাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বিবিসি বাংলাকে জানান, ট্রায়াল পর্যায়ে এসব সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক বিষয় এবং এতে সেরামের সাথে চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবেনা। "আমরা যোগাযোগ করেছি। ট্রায়াল বন্ধ হয়েছে যৌক্তিক কারণে। এখন আবার রিভিউ হবে এবং পরে আবার প্রক্রিয়া চলবে। এভাবেই সবার জন্য নিরাপদ ভ্যাকসিন আসবে," বলছিলেন মিস্টার রেজা। যদিও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে করোনাভাইরাসের যে টিকাটির চূড়ান্ত পরীক্ষা করছিল, একজন অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সেটি গত নয় সেপ্টেম্বর স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাখ্যা করা যায় না, এমন অসুস্থতার কারণে এরকম বিরতিকে 'রুটিন' কাজের অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছিলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যদিও এই টিকার ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বই তাকিয়ে আছে এবং করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বিশ্ব জুড়ে যেসব চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই টিকাটি সবার আগে বাজারে আসবে। ওই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পেটেন্ট নিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকাটি উৎপাদন করার দায়িত্ব পেয়েছে এবং ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস একটি চুক্তি করেছে বলে জানানো হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অংশগ্রহণকারী অসুস্থ, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত বেক্সিমকো-সেরাম চুক্তি, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিন: বাংলাদেশে ট্রায়াল কীভাবে হবে? টিকার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যেসব রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে টিকার ট্রায়াল স্থগিত হলেও ভারতের সাথে চুক্তি থাকছে বেক্সিমকোর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে একজন অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হওয়ায় তারা আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত ২৮শে অগাস্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'ভ্যাকসিনটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে প্রথম যে দেশগুলো ভ্যাকসিন পাবে' বাংলাদেশ হবে তার মধ্যে একটি। পরে নয়ই সেপ্টেম্বর টিকাটির ট্রায়াল স্থগিতের খবরের পর বেক্সিমকোর সাথে সেরামের চুক্তির পরিণতি কি হয় বা এ সম্পর্কে নতুন কোনো ঘোষণা আসে কিনা তা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলি ছিলেন। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলছেন যে এ নিয়ে তারা মোটেই উদ্বিগ্ন নন। "এ ভ্যাকসিনের সঙ্গে জড়িত খ্যাতিমান ডোনার সংস্থাগুলোর কেউই সরে যায়নি। তাছাড়া ট্রায়াল করাই হয় এ জন্য যাতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা যায়। ট্রায়াল বন্ধ মানে টিকা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া নয়। রিভিউতে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করে ভ্যাকসিন আসবে। তখন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে বেক্সিমকো তা সরবরাহ করবে"। প্রসঙ্গত সংখ্যার হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনটি বাদেও করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য আরো দু'টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পরিচালনা করছে তারা। সংবাদদাতারা বলছেন, অক্সফোর্ডের এই টিকাটির পরীক্ষা এর আগেও একবার স্থগিত করা হয়েছিল। বড় ধরণের পরীক্ষায় এ ধরণের ঘটনা অনেক সময় ঘটে থাকে। যখন কোন অংশগ্রহণকারীর অসুস্থতার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়না, তখন অনেক সময় তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই আবার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে। টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন কোথায় রয়েছে বিশ্ব? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই বলেছেন, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই তিনি একটি টিকা দেখতে চান। তবে তার এই মন্তব্য আশঙ্কা তৈরি করেছে যে, রাজনীতির কারণে নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই না করেই টিকা উৎপাদনের চেষ্টা হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে চেষ্টা করছে, এমন নয়টি প্রতিষ্ঠান গত মঙ্গলবার বিরল এক ঘোষণায় নিশ্চিত করেছে যে, টিকা উৎপাদনে তারা সবরকম বৈজ্ঞানিক এবং গুণগত মান বজায় রাখবে। ওই ঘোষণায় অংশ নেয়া নয়টি প্রতিষ্ঠানের একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যারা বলছে, তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের আবেদন করা হবে। জনসন এন্ড জনসন, বাইয়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, ফাইজার, মের্ক, মর্ডানা, সানোফি এবং নোভাভ্যাক্সও ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ''তারা সবসময়েই নিরাপত্তা এবং টিকা দেয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে।'' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে এর কোনটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। সংস্থাটি বলছে, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষার নিয়মনীতি মেনে কোন টিকাই এই বছরের মধ্যে আসতে পারবে বলে তারা মনে করে না। কারণ এসব টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই করতে সময় লাগে। তা সত্ত্বেও চীন এবং রাশিয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। সেসব টিকাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় পরীক্ষামূলক হিসাবে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আভাস দিয়ে বলছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয়া হতে পারে। টিকার ট্রায়াল স্থগিত হলেও ভারতের সাথে চুক্তি থাকছে বেক্সিমকোর
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত হলেও ওই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে সরবরাহ করার জন্য ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিলো তা বহাল থাকার কথা জানিয়েছে বেক্সিমকো।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কাশ্মীর বিখ্যাত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের এই সংঘাতের কারণ কি? ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান আর ভারত স্বাধীনতা পাবার আগে থেকেই কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। 'ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স এ্যাক্ট' নামে ব্রিটিশ ভারত বিভক্তির যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কাশ্মীর তার ইচ্ছে অনুযায়ী ভারত অথবা পাকিস্তান - যে কোন রাষ্ট্রেই যোগ দিতে পারবে। কাশ্মীরের তৎকালীন হিন্দু মহারাজা হরি সিং চাইছিলেন স্বাধীন থাকতে অথবা ভারতের সাথে যোগ দিতে। অন্যদিকে পশ্চিম জম্মু এবং গিলগিট-বালতিস্তানের মুসলিমরা চাইছিলেন পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে। কাশ্মীর বিভক্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এল ও সি দিয়ে ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের পাশতুন উপজাতীয় বাহিনীগুলোর আক্রমণের মুখে হরি সিং ভারতে যোগ দেবার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, এবং ভারতের সামরিক সহায়তা পান। পরিণামে ১৯৪৭ সালেই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - যা চলেছিল প্রায় দু'বছর ধরে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯৪৮ সালে ভারত কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। জাতিসংঘের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে কাশ্মীরে গণভোট, পাকিস্তানের সেনা প্রত্যাহার, এবং ভারতের সামরিক উপস্থিতি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে আহ্বান জানানো হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আক্রমণ করলে ভারতকে পাল্টা জবাব দেবো: ইমরান খান হাসপাতাল থেকে ৩১ টা মানব ভ্রূণ ডাস্টবিনে গেল কীভাবে? কোমায় থাকা কিশোরী জেগে দেখে সে নিজেই মেয়ের মা! জামায়াতের নতুন দলের নামে 'ইসলাম' বাদ পড়তে পারে কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান, ভারত ও চীন কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি বলবৎ হয় ১৯৪৮ সালে, তবে পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে। তখন থেকেই কাশ্মীর কার্যত পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে চীন কাশ্মীরের আকসাই-চিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে, আর তার পরের বছর পাকিস্তান - কাশ্মীরের ট্রান্স-কারাকোরাম অঞ্চলটি চীনের হাতে ছেড়ে দেয়। সেই থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তান, ভারত ও চীন - এই তিন দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে আছে। দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় ১৯৬৫ সালে, এর পর আরেকটি যুদ্ধবিরতি চু্ক্তি হয় । এর পর ১৯৭১-এর তৃতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৭২-এর সিমলা চুক্তির মধ্যে দিয়ে বর্তমানের 'লাইন অব কন্ট্রোল' বা নিয়ন্ত্রণ রেখা চূড়ান্ত রূপ পায়। ১৯৮৪ সালে ভারত সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ দখল করে - যা নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে চিহ্নিত নয়। আক্রান্ত হলে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ হবে: বলছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তা ছাড়া ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বাহিনী আরেকটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তিক্ত লড়াইয়ে জড়ায় পাকিস্তান-সমর্থিত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে। ১৯৯৯-এর সেই 'কারগিল সংকটের' আগেই দু দেশ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হয়। ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এত সংঘাত-সহিংসতা কেন? কাশ্মীরের এ অংশের অনেকেই চায় না যে এলাকাটি ভারতের শাসনে থাকুক। তারা চায় - হয় পূর্ণ স্বাধীনতা, অথবা পাকিস্তানের সাথে সংযুক্তি। ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। এটিই হচ্ছে ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে বেকারত্বের হার অত্যন্ত উঁচু, তা ছাড়া রাস্তায় বিক্ষোভ এবং বিদ্রোহীদের দমনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নীতি পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে। পুলওয়ামাতে সবশেষ আক্রমণে ৪০ জন আধাসামরিক সেনা নিহত হন কাশ্মীরে বিদ্রোহী তৎপরতা বড় আকারে শুরু হয় ১৯৮৭ সালে বিতর্কিত স্থানীয় নির্বাচনের পর জেকেএলএফ নামে সংগঠনের উত্থানের মধ্যে দিয়ে। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে যোদ্ধাদের পাঠাচ্ছে - তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এই রাজ্যে ১৯৮৯ সালের পর থেকে সহিংস বিদ্রোহ নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ২২ বছর বয়স্ক জঙ্গী নেতা বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এক লড়াইয়ে নিহত হবার পর থেকে পুরো উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বুরহান ওয়ানি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন এবং এতে তার প্রকাশ করা বিভিন্ন ভিডিও তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। মনে করা হয়, এ অঞ্চলে জঙ্গী তৎপরতা পুনরুজ্জীবিত করা এবং তাকে একটা 'ন্যায়সঙ্গত ইমেজ' দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজধানী শ্রীনগরের ২৫ মাইল দূরের ট্রাল শহরে বুরহান ওয়ানির শেষকৃত্যে সমাগম হয়েছিল হাজার হাজার লোকের। জানাজার পর শুরু হয় সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষ, কয়েকদিনব্যাপী সহিংসতায় নিহত হয় ৩০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক। এর পর থেকেই রাজ্যটিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা চলছে। ২০১৮ সালে বেসামরিক লোক, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গী মিলে মোট নিহত হয় ৫০০ জনেরও বেশি - যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কাশ্মীরে শান্তির আশা দেখা দিয়েও মিলিয়ে গেছে বার বার কাশ্মীর এখন বিভক্ত লাইন অব কন্ট্রোল (ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা) বরাবর। এ ছাড়াও আকসাই-চিন এবং সিয়াচেন হিমবাহের উত্তরের আরেকটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে চীন। কাশ্মীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত ডাল লেক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বহু রক্তপাতের পর ২০০৩ সালে দু দেশ একটি যু্দ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল। পাকিস্তান পরে কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করার অঙ্গীকার করে, আর ভারত প্রস্তাব করে - বিদ্রোহীরা জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ করলে তাদের ক্ষমাও করে দেয়া হবে। এর পর ২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর তারা পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর নীতি নেবার অঙ্গীকার করে, তবে শান্তি আলোচনার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখায়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন অতিথি হিসেবে। কিন্ত এর এক বছর পরই পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ হয় - যার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে ভারত। মি. মোদি ইসলামাবাদে তার নির্ধারিত সফর বাতিল করে দেন। এর পর থেকে দু'দেশের মধ্যে আলোচনায় আর কোন অগ্রগতি হয় নি। তাহলে কাশ্মীর কি আগের অবস্থাতেই ফিরে গেল? ২০১৮ সালে ভারতশাসিত কাশ্মীর রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার - যাতে বিজেপিও অংশীদার ছিল। কিন্তু জুন মাসে বিজেপি জোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, এবং তার পর থেকেই রাজ্যটি দিল্লির প্রত্যক্ষ শাসনের অধীনে। এতে সেখানে ক্ষোভ আরো বেড়েছে। পুলওয়ামার আক্রমণ নতুন করে ভারত পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীরে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাধিক সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলা হয়েছে। সবশেষ পুলওয়ামায় গত সপ্তাহে এক জঙ্গী আক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি আধাসামরিক পুলিশ সদস্য নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আবারও তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয় - তাহলে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। ভারত বলছে, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে সব চেষ্টাই তারা করবে। মনে হচ্ছে, দু দেশের সম্পর্ক উন্নত হবার যেটুকু আশা অবশিষ্ট ছিল - পুলওয়ামার আক্রমণের মধ্যে দিয়ে সেটাও হয়তো শেষ হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কাশ্মীরি মায়েরা কি পারবেন জঙ্গী ছেলেদের ফেরাতে? বিশ্বের সেরা 'টয়লেট পেপার' পাকিস্তানের পতাকা? ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর কাশ্মীরে আধাসামরিক কনভয়ে বোমা হামলা, নিহত ৩৪
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দু'বার যুদ্ধ হয়েছে। এখন উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে, এবং পুলওয়ামার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও তারা যুদ্ধংদেহি অবস্থানে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মেয়েদের টয়লেটে এটাই সবচেয়ে পরিচিত দৃশ্য মেয়েরা সেখানে কথাবার্তা বলে, বন্ধুত্ব করে, মেকআপ ঠিক করে আর নিজেদের সম্পর্কের ঝামেলা সারাই করে। গত প্রায় ১০ বছর যাবত পাবলিক টয়লেটে মেয়েরা ঠিক কী কী কাজকর্ম করে, তার ছবি তুলছেন সামান্থা জ্যাগার। সাধারণ কোন ক্যামেরায় নয়, হাতব্যাগে বহন করা যায় এমন আকারের ৩৫মিমি শুটিং ক্যামেরায় তিনি এসব ছবি তুলেছেন। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ও লিডস শহরের বিভিন্ন পাবলিক টয়লেট, পাব আর ক্লাবের মেয়েদের টয়লেটে এসব ছবি তোলা হয়েছে। সামান্থার তোলা বিপুল সংখ্যক ফটোগ্রাফের একটি অংশ নিয়ে লন্ডনে হবে এক প্রদর্শনী, সামান্থা যার নাম দিয়েছেন 'লুসেন আপ'। আরো পড়তে পারেন: 'মনে হচ্ছিল আমি হয়তো মারা যাচ্ছি বা মারা যাবো' পার্বত্য চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিল কেন থামছে না? ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাশুল দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া বিশ্বের কোন শহরটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর কোনটি সস্তা এই ছবিটি সামান্থার সবচেয়ে পছন্দের ছবি যাদের ছবি তোলা হয়েছে, তাদের কেউ সামান্থার বন্ধু, বাকী সব অপরিচিত নারীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে পাবলিক টয়লেটেই। সামান্থা তার প্রদর্শনীর ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে জীবনের এক স্বল্পালোচিত বা প্রায় অনালোচিত গল্প বলতে চেয়েছেন। সামান্থা বলছেন, এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, টয়লেটের চার দেয়ালের মধ্যেও যে বন্ধুত্ব হতে পারে সেই গল্প বলতে চেয়েছেন। কেন মেয়েরা টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকে? মেয়েরা টয়লেটে বেশি সময় কাটায়, এমন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য বা জরিপ নেই। তবে সাধারণভাবে এমনটাই ধারণা করা হয়। বলা হয়ে থাকে, টয়লেটের পরিবেশ ও পরিস্থিতি এজন্য এক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এমন জরুরী মূহুর্তের অনেক ছবি তুলেছেন সামান্থা অর্থাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার ক্ষেত্রে মেয়েদের কাছে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা একটি ব্যপার। এছাড়া টয়লেট সাড়ার পরের পরিচ্ছন্নতাতে মেয়েদের সময় বেশি লাগে কিনা তা নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা রয়েছে। তবে, পথেঘাটে, ক্লাবে বা পাবের মেয়েদের টয়লেট অনেক সময়ই সাজঘর হিসেবেও ব্যবহার হয়। লেডিস টয়লেটে সামান্থার বন্ধুত্ব দশ বছর ধরে বিশেষ একটি বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে লেডিস টয়লেট থেকে পরিচয় হয়ে পরবর্তীতে অনেক নারী সামান্থার ভালো বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন এমন উদাহরণ রয়েছে। অতিরিক্ত পান করে বমি করলে অপরিচিত কোন নারীই হয়েতো সাহায্যে এগিয়ে আসেন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা সামান্থা ম্যানচেস্টারেই বাস করছেন বহু বছর। "কৈশোরে শখের বশেই আমি ছবি তোলা শুরু করি, কিন্তু মাত্র গত বছরই আমি হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম, আমার তোলা ছবির একটি বড় অংশই হচ্ছে টয়লেটের মধ্যে তোলা।" "আমার মনে হলো, এই ছবিগুলোর ভেতর দিয়ে মেয়েদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বোঝা যায় তাদের একেবারে নিজেদের মত করে কাটানো সময়ে তাদের আচরণের মধ্য দিয়ে। টয়লেটের ভেতরে মেয়েরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও আমি বুঝতে পারি এই সময়ে।" এটিও পরিচিত দৃশ্য "গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চাকরি বদলানো, সম্পর্ক ভাঙ্গা কিংবা সামনে এগুনোর তড়িৎ সিদ্ধান্ত। এটা আজব একটা ব্যপার, কিন্তু ক্যামেরার লেন্সের ভেতর দিয়ে আমি গত ১০ বছর ধরে তাই দেখছি।" প্রদর্শনীর ছবিগুলোর অনেকগুলোতেই সামান্থাকে দেখা যাবে। কারণ যাদের ছবি তোলা হয়েছে, তাদের অনেকেই শেষ মূহুর্তে প্রদর্শনীতে নিজেদের বিশেষ মূহুর্ত দেয়ালে টাঙানো অবস্থায় দেখতে চাননি। যে কারণে সেগুলোতে সামান্থা নিজের নতুন করে পোজ দিয়েছেন। ছবিগুলোতে দেখা যাবে, মেয়েরা টয়লেটে মেকআপ করছে, পরস্পরকে সাহায্য করছে। "কেঁদে অনেকের বুক ভেসে যাচ্ছে, প্রেমে প্রতারিত হয়ে চলতে থাকা জীবনে হঠাৎ থমকে যাচ্ছেন কেউ কেউ, কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছেন, কেউ কূট তর্ক করছেন। কোথাওবা সিঙ্ক উপচে পড়ছে সাজের সরঞ্জামে।" লন্ডনের অনেক পাবলিক টয়লেটে, বিশেষ করে মেয়েদের টয়লেটে হেয়ার ড্রায়ার থাকে, এক টয়লেটে চুল শুকচ্ছেন এমন একটি ছবি সামান্থার বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে পাবলিক টয়লেটে মেয়েদের সময় বেশি লাগে। এর একটি কারণ হয়ত, পাবলিক টয়লেটে মেয়েরা কেবল প্রাকৃতিক কাজ সারতেই যায়না।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঢাকায় আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি মসজিদ: ফাইল ছবি মসজিদটি ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। আহমদীয়া মুসলিম জামাত বলছে, স্থানীয় দু'টি কওমী মাদাসার পক্ষ থেকে 'তাহাফুজে খতমে নবুয়ত' নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জুম্মার নামাজের পর জমায়েত ডাকা হয়েছিল। তারা আহমদীয় মুসলিমদের মসজিদটি দখলের হুমকি দিলেও পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থার কারণে তারা সে চেষ্টা করেনি। কওমী মাদ্রাসা দু'টির ফোরামের নেতারা অবশ্য দখলের হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আহমদীয়া সম্প্রদায়ের এই মসজিদ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আহমদীয়া মুসলিম জামাতের স্থানীয় নেতা মনজুর হোসেন অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার তাদের মসজিদে শিশুদের একটি অনুষ্ঠান চলার সময় হঠাৎ করে অসত্য গুজব ছড়িয়ে সেখানে হামলা করা হয়েছিল। এরপর স্থানীয় দু'টি কওমী মাদ্রাসা থেকে খতমে নবুয়তের ব্যানারে শুক্রবার মসজিদ দখলের হুমকি দেয়া হলে তাদের পরিবারগুলোর মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে আহমদীয়া মুসলিমদের মসজিদে পুলিশ-র‍্যাবের পাহারা বসানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে তিনি জানিয়েছেন, জুম্মার নামাজের সময় তাদের মসজিদ ঘিরে গোটা এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া হুমকির কারণে আগে থেকেই তারা তাদের মসজিদের ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলেন। মনজুর হোসেন বলেন, "গত ১৪ই জানুয়ারি আমাদের মসজিদে আক্রমণের পর থেকে আমরা আতংকগ্রস্ত ছিলাম। এরপর মসজিদ দখলের হুমকি আমাদের আরও উদ্বিগ্ন করেছিল। তবে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছিল। সেজন্য শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আমাদের কাছের দু'টি কওমী মাদ্রাসায় অনেক জমায়েত করলেও তারা আর এদিকে আসে নাই।" "এখন পুলিশের তৎপরতার কারণে মসজিদ দখল করতে পারে নাই। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে আবারও কর্মসূচি দিয়েছে। ফলে আমাদের ভয় থাকছেই।" আহমদীয়া মুসলিম জামাতের মসজিদের দুই পাশে দু'টি কওমী মাদ্রাসা। ফলে সেখানে আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল বলে পুলিশ বলছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহমদীয়াদের মসজিদ ও বাড়িঘরে হামলা আহমদীয়া মুসলিম জামাত অভিযোগ করেছে, এক যুগ আগে তাদের একটি মসজিদ দখল করে নিয়েছিল আহমদীয়া সম্প্রদায়-বিরোধী একটি সংগঠন এবং সে সময়ই তারা এখনকার মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে খতমে নবুয়তের নেতারা বলেছেন, জুম্মার নামাজের পর মাদ্রাসার ভিতরে তাদের জমায়েত থাকলেও তারা কোনো কর্মসূচি পালন করেন নাই। তাদের অন্যতম নেতা সাজেদুর রহমান বলেছেন, মসজিদ দখলের কথা তাদের কোনো নেতার আগেকার বক্তব্যে এসেছিল। কিন্তু এই মসজিদ এবং আহমদীয়াদের বিরুদ্ধে আগামী ২০শে জানুয়ারি তাদের মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যহত রাখার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। "আহমদীয়াদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আগের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। কারণ এখন তাদের বিরুদ্ধে আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি যে তারা আমাদের কয়েকজনকে মারধর করেছিল। এখানে কারও কিছু দখলের বিষয় নেই। আমাদের কথা যে তারা মসজিদই করতে পারে না।" ঢাকায় খতমে নবুওতের একটি সভা: ফাইল ছবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সাড়ে তিনশ'র মতো পরিবার বসবাস করে। তাদের কয়েকটি মসজিদ থাকলেও কান্দিপাড়া এলাকার মসজিদটি ঐ জেলায় তাদের কেন্দ্র বা বড় মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হয়। ওই সম্প্রদায়ের একজন গৃহিণী কোহিনুর বেগম বলছিলেন, তাদের মসজিদ নিয়ে উত্তেজনার কারণে আতংকে তারা এখন ক'দিন ধরে বাড়ি থেকেই বের হতে পারছেন না। "এখন ভয়ে আমরা মহিলারা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে আমরা এখন ঘরে বন্দী রয়েছি। এত ভয় নিয়ে কি থাকা যায়?" ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেছেন, এলাকাটিতে দুই পক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করলেও তারা পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ করছে। তবে কয়েকদিন ধরেই সেখানে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে এবং শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। "এখানে দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছে। তবে উত্তেজনার শুরু থেকে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার থেকে আমরা এলাকায় পুলিশের পাহারা দিচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।" পুলিশ কর্মকর্তা মি: হোসেন আরও বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহমদীয় মুসলিম জামাতের মসজিদ নিয়ে উত্তেজনা এবং আতংকের পরিবেশ এখন আর নেই বলেই তারা মনে করছেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: রক্তদূষণে কেন বিশ্বের পাঁচজনের একজন মারা যাচ্ছে 'ক্রসফায়ার' বিতর্ক: এমপিদের বক্তব্যে দ্বিমত কাদেরের তরুণ-যুবকেরা বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণের শীর্ষে
বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি মসজিদ দখলের হুমকির আসার পর শুক্রবারের নামাজের আগে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
খেলার দুই মিনিটের মধ্যে টটেনহ্যামের জালে বল জড়িয়ে দেন মোহাম্মদ সালাহ মাদ্রিদে শনিবার ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। এই জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন মোহাম্মদ সালাহ, যিনি খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই পেনাল্টি গোল দিয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। আর খেলার শেষের দিকে দিভোক ওরিগির গোলে জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো এই ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করলো ক্লাবটি। খেলার শুরুতেই প্রথম আক্রমণে টটেনহ্যামের ডি-বক্সে ঢুকে সাদিও মানের শটে মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর বুকে লেগে হাতে বল লাগে। আরো পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এটাই কি সেরা ঘুরে দাঁড়ানো? মেসি ও রোনালদো - কে, কার অনুপ্রেরণা? আফ্রিকাতে ছড়িয়ে পড়েছে 'মো সালাহ জ্বর' ২০১২ সালের পর আবার কোন শিরোপার দেখা পেলেন লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ফলে পেনাল্টি কিক পায় লিভারপুল। সেই স্পট কিকে জালে বল ছুঁড়ে দিয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন সালাহ। এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ চললেও টটেনহ্যামের পরাজয় নিশ্চিত করে দেন বদলি খেলোয়াড় হিসাবে নামা দিভোক ওরিগি। খেলা শেষ হতে তিন মিনিট বাকি থাকতে জোয়েল মাতিপের কাছ থেকে পাওয়া বল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন ওরিগি। আর এই গোলের মাধ্যমেই লিভারপুলের শিরোপা নিশ্চিত করে দিলেন ওরিগি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দক্ষিণ আফ্রিকার যে দুর্বলতা বাংলাদেশের বড় সুযোগ কুঁড়েঘর থেকে মন্ত্রিসভায়ঃ প্রতাপ সারাঙ্গি আসলে কে? একা হাতে যারা সন্তান বড় করেন ইংল্যান্ডে বাংলাদেশকে পথ দেখাবেন স্টিভ রোডস প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ বা ইউরোপীয় লীগের ফাইনালে খেলেছে টটেনহাম হটস্পার জয়ের পেছনে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসনও। হিউং মিন এবং ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের জোরালো দুটি শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রায় এগারো বছর পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের 'অল ইংলিশ' ফাইনাল খেলা হলো। সর্বশেষ ২০০৭-২০০৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে খেলেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি। গত মৌসুমে ইউক্রেনে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল লিভারপুলের। এখন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সর্বোচ্চ শিরোপাধারীর তালিকায় এই ক্লাবের সামনে আছে শুধুমাত্র রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান। আর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ বা ইউরোপীয় লীগের ফাইনালে খেলেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। টটেনহ্যামের দিকে বল ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন লিভারপুলের দিভোক ওরিগি লিভারপুলের এই শিরোপার দৌড়ে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে আর সেমি-ফাইনালে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে। সুতরাং লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের জন্য শুধু এটি একটি শিরোপাই নয়, তার নাম উঠে যাবে ক্লাব ফুটবলের লোকগাথাতেও।
টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জয় করেছে লিভারপুল। সেই সঙ্গে গত মৌসুমের ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজয়ের দুঃখও তারা ভুলিয়ে দিয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বুকমাইবাই-এর ওয়েবসাইট এখন পর্যন্ত দশ হাজার বাড়িতে তারা গৃহকর্মী সরবরাহ করেছে। ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে। বলিউডের অনেক তারকাও তাদের গ্রাহক। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিউডের তারকাদের বাড়িতে তারা গৃহকর্মী পাঠাবে না। কেন এই সিদ্ধান্ত? ব্যাখ্যা করতে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার অনুপম সিংহাল ইন্টারনেটে একটি ব্লগ লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বলিউডের তারকাদের বাড়িতে গৃহকর্মী নির্যাতন, তাদের ওপর দুর্ব্যবহারের একের পর এক ঘটনার পর তাদের এই সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন :ঢাকায় সাপের বিষের চালান কাদের জন্য আসে? অনুমতি ছাড়া আওয়ামী লীগে নতুন সদস্য নিষিদ্ধ গ্রাহকদের নাম উল্লেখ না করে, মি সিংহাল হেনস্থা-নির্যাতনের পাঁচটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন। তার একটিতে তিনি লিখেছেন - মাসে দশ হাজার টাকা মজুরিতে বিহারের একটি গ্রামের ছেলেকে নিয়োগ করেছিলেন বলিউডের এক সেলেব্রিটি। কিছুদিন পর গ্রাম থেকে তার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শেষকৃত্যে অংশ নিতে বিহারে যেতে চাইছিলো সে। কিন্তু ঐ অভিনেত্রী তাকে ছাড়েননি। বুকমাইবাইকে তিনি শর্ত দেন বদলি আরেকজনকে না দিলে তিনি ঐ ছেলেকে বিহারে যেতে দেবেন না। সেই গৃহকর্মী তার মায়ের শেষকৃত্যে যেতে পারেনি। আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে অনুপম সিংহাল লিখেছেন -- বলিউডের এক অভিনেত্রী তাদের পাঠানো গৃহকর্মীকে প্রতিদিনই পেটাতেন। তার শরীরে মারের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। আরেক বলিউড অভিনেত্রী, যিনি তিন কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, তিনি তার গৃহকর্মীকে ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত দিতেন না। তিন-বেলা শুধু চা-রুটি দিতেন। এক সপ্তাহের বেশি কোনো গৃহকর্মী ঐ বাড়িতে থাকতে চাইতো না। বুকমাইবাই-এর বিজ্ঞাপন বুকমাইবাইয়ের অনুপম সিংহালের দেওয়া উদাহরণগুলোর প্রত্যেকেই ছিলেন অভিনেত্রী যাদের কেউ কেউ জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। মি সিংহাল লিখেছেন প্রতিবাদ করতে গেলে এসব সেলেব্রিটিরা পুলিশ ও আইনের ভয় দেখান।
গৃহকর্মী সরবরাহে বেশ নাম করেছে মুম্বাইয়ের ইন্টারনেট ভিত্তিক পোর্টাল বুকমাইবাই।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
টিকটক অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে গুগল ও অ্যাপল মাদ্রাজ হাইকোর্টের একটি আদেশের জের ধরে টিকটক বন্ধ করে দেয়া হলো। অ্যাপটি ব্যবহার করে পর্ণগ্রাফি ছড়ানো হচ্ছে এমন উদ্বেগ তৈরি হওয়ার পর অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। আদেশকে স্থগিত করতে অ্যাপটির মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স মঙ্গলবার আপিল করলেও উচ্চ আদালত তা গ্রহণ করেনি। ভারতে টিকটকের প্রায় এক কোটি বিশ লাখ ব্যবহারকারী আছে। যদিও সাম্প্রতিককালে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিও শেয়ারের ঘটনার পর তীব্র সমালোচনা হচ্ছিলো। যে অ্যাপ দিয়ে বানানো হয়েছিল সেই ভাইরাল ভিডিও 'খুশিতে,ঠ্যালায়,ঘোরতে': এনিয়ে কেন এতো মাতামাতি ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এখন যা বলছেন অঞ্জনা তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এই অ্যাপটি ব্যবহার করে কথার সাথে নিজেদের ঠোট মিলিয়ে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে তা শেয়ার করা হচ্ছিলো। আবার নিজেদের পছন্দের গানের সাথে নাচ বা নানা ধরণের কমেডি তৈরিও সম্ভব এ অ্যাপটির দ্বারা। তবে টিকটক ব্যবহারকারী যারা ফোনে অ্যাপটি ডাউন লোড করেছিলেন তারা বুধবারও এটি ব্যবহার করতে পারছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট প্রাথমিক নির্দেশনায় পর্ণগ্রাফিকে উৎসাহিত করার অভিযোগে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার জন্য ফেডারেল সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২২শে এপ্রিল এ বিষয়ে আবারো শুনানির তারিখ রয়েছে। যদি অ্যাপটি মালিক প্রতিষ্ঠান আদালতে বলেছে যে খুব কম সংখ্যক ক্ষেত্রেই অ্যাপটির অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। কোম্পানিটি বলছে আপত্তিকর কনটেন্ট সরিয়ে নিতে তারা তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে এবং এ ধরণের অন্তত ৬০ লাখ ভিডিও ইতোমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০কোটি। আদালতের নির্দেশনার পর ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গুগল ও অ্যাপলকে অনলাইন স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। গুগল ও অ্যাপলের কোন মন্তব্য এখনো আসেনি। তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এই অ্যাপটি টিকটক অ্যাপটি কী? চীনে তৈরি সামাজিক মাধ্যমের এই অ্যাপটি দিয়ে অল্পবয়সী লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে পরিচিত ফিল্মী ডায়লগ বা গানের সঙ্গে নিজেরা অভিনয় করে মজার মজার ভিডিও বানাচ্ছেন । তবে ১৫ সেকেন্ডের থেকে বড় ভিডিও বানানো যায় না এই অ্যাপে, আর নিজের স্বর ব্যবহার করতে পারবেন না। যাকে বলা হয় 'লিপ সিঙ্ক', অর্থাৎ ঠোঁট নাড়া। ২০১৬ সালে টিকটকের যাত্রা শুরু হয়েছিল, আর দুবছরের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়ে যায়। ২০১৮-র অক্টোবরে আমেরিকায় সব থেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ ছিল এই টিকটক। গুগল প্লে স্টোরে আশি লক্ষেরও বেশি ভারতীয় এই অ্যাপটির রিভিউ করেছেন। বলিউড স্টারেদের অনেকেই এই অ্যাপটিকে নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে? গরমে অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে যা জানা জরুরি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন না: বিএনপি ঘুম নিয়ে যেসব ধারণা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে
ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার অ্যাপ টিকটক ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাপল ও গুগল।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর গত সোমবার এই বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি। একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার কারণে এই বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রায়শই আলোচনা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তাদের সমালোচনা হয়েছে। নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এখন বলছে ছয় বছর আগে ন্যাশনাল প্রাইড নামে যে প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের পরিসর বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল সেটা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানির অবহেলার কারণে সম্পূর্ণ হয় নি। স্প্যানিশ একটি কোম্পানি সানহাআস কন্সট্রাক্টর এর সাথে তিন মাস আগেই চুক্তি বাতিল করে নেপালের সরকার। ঐ কোম্পানি ৬ বছরে মাত্র ২০% কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে। কিন্তু এসব তথ্য এতদিন প্রকাশ্যে আসে নি। নেপালের মানচিত্র আরও দেখুন: স্টিভেন হকিং: রসিক এবং খেয়ালী এক বিজ্ঞানী কীভাবে করা হয় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত? এখন দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে বন্দরের চারটি অংশে তারা সংস্কারের কাজ করবে এবং ভিন্ন একটা কোম্পানির সাথে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক সানজিভ গৌতম বিবিসিকে বলেছেন, চীনা একটা কোম্পানি তিন মিটার দৈর্ঘ্য ট্যানেল, টার্মিনাল ভবন, টার্মিনাল ভবনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে। তিনি বলেছেন "এনক্লাসি ভবন এবং টার্মিনাল বিল্ডিং এর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে"। এবং এই সব কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি জানান। ২০১২ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের পরিসর বাড়ানোর জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয় সেটাতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬ বিলিয়ন রুপি সহায়তা করেছে। মূল পরিকল্পনায় এয়ারক্রাফট পার্কিং এর জন্য আরো ১৩টা স্থান বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। নেপাল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, বিমানবন্দরটিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো বিমান অবতরণের পর থেকে এপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বলা হচ্ছে, এসব দুর্ঘটনায় ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বিমানের পাশাপাশি সেখানে হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ দুর্ঘটনার শিকার হলো ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি।
পাহাড় ঘেরা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি কাঠমান্ডু উপত্যকায় এবং শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে বোমা হামলায় ৩০০'র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে 'ভুয়া খবর' ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে ফেসবুক, ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রাম, এবং ইউটিউব, ভাইবার ও স্ন্যাপচ্যাট বন্ধ করে দেয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কবে বা কখন উঠিয়ে নেয়া হবে সেবিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি শ্রীলংকার সরকার। কেন বন্ধ করা হলো সামাজিক মাধ্যম? শ্রীলংকায় রবিবারের সিরিজ হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে। রোববার শ্রীলংকার একাধিক গির্জায় এবং হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন 'ভিত্তিহীন খবর এবং জল্পনা প্রচার থেকে বিরত' থাকতে। এর পরপরই সামাজিক মাধ্যমের সাইটগুলো ব্লক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শ্রীলংকায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ব্যাপক দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, তবে 'তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত' এটি কার্যকর থাকবে। সামাজিক মাধ্যমে টুইটার এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলংকার মানুষের মধ্যে টুইটার তেমন জনপ্রিয় নয়। গতবছর মুসলিম বিরোধী সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে কিছুদিনের জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল শ্রীলংকায়। শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত খুব একটা বিস্ময়কর নয়। আরো পড়ুন: 'এটা কি হলো?': শোকস্তব্ধ ঢাকার শ্রীলংকানরা শ্রীলঙ্কা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড শোকের দিনে গণ শেষকৃত্য, প্রাণ হারালো যারা গত বছর নভেম্বরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়ানোর লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর এবছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করার পর সেই ভিডিও সরিয়ে নেয়ার জন্যও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মত জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোকে। নিউজিল্যান্ডের ঘটনার সময় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ না করা হলেও হামলার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সামাজিক মাধ্যমগুলোকেই দায়ী করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করা কি ভাল উদ্যোগ? অনেকের মতে, এরকম নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কোনো পথ ছিল না। কারণ ভুল খবর ছড়িয়ে পড়া রোধের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট সক্ষমতা নেই। কিন্তু অনেকেই সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তকে অনলাইনে তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার পথে বাধা হিসেবে মনে করছেন - বিশেষ করে শ্রীলংকার মত দেশে, যেখানে এর আগেও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার নজির রয়েছে। সামাজিক মাধ্যম যে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে তা প্রশ্নাতীত গবেষক ইয়ুধাঞ্জায়া বিজরত্নে বাজফিড'কে বলেন যে এটি একটি জটিল সমস্যা। "তথ্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার বিরুদ্ধে এবং তথ্যের গণতন্ত্রায়নের পথে সামাজিক মাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর অর্থ এই না যে এটি (সামাজিক মাধ্যম) শুধুই কল্যাণ বয়ে আনে। সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা অনেক দ্রুত ছড়ায়, আর ফেসবুক ঘৃণা ছড়ানো কন্টেন্ট বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।" নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক দিকগুলো কী? সামাজিক মাধ্যম যে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে তা প্রশ্নাতীত, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় পরিবার এবং প্রিয়জনদের খোঁজ নেয়ার ক্ষেত্রেও সামাজিক মাধ্যমের গুরুত্বের বিষয়টি বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতায় অনস্বীকার্য। ফেসবুক তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে: "প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগের জন্য আমাদের সেবার ওপর নির্ভরশীল মানুষ এবং এই বিপর্যয়ের সময় দেশটির সব সম্প্রদায়ের মানুষের সহায়তার উদ্দেশ্যে আমাদের সেবা অব্যাহত থাকবে।" শ্রীলংকায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ব্যাপক, আর অনেক মানুষের কাছে ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক। কাজেই এরকম বিপর্যয়ের সময় এই সুবিধাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে যোগাযোগের মূল মাধ্যমই বন্ধ হয়ে যাওয়া - এমন এক সময় যখন এটি তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞা কি কাজ করছে? নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছেন। ভিপিএন'এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারীর ঠিকানা গোপন করে অন্য দেশের সার্ভারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। ভুয়া খবর নিয়ে গবেষণা করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'ফার্স্ট ড্রাফ্ট' এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লেয়ার ওয়ার্ডল বিবিসিকে বলেন: "এরকম একটি ঘটনার পর এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কারণ সহজে অনুধাবন করা যায়।" "কিন্তু যখন মানসম্পন্ন তথ্যের অন্য কোনো নির্ভরশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থাকে না, তখন এমন সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সামাজিক মাধ্যমের আর কোনো বিকল্প থাকে না।" অন্যান্য খবর: বারাক ওবামাকে হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল যারা দুর্ঘটনায় সংজ্ঞাহীন নারী জেগে উঠলেন ২৭ বছর পর 'জুরাইনে গিয়ে শরবত খেয়ে আসবো আমরা'
শ্রীলংকায় বোমা হামলা হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শুরু করে হামলা সম্পর্কিত বিভিন্ন মনগড়া গল্প - আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সামাজিক মাধ্যম ব্লক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঢাকায় বিএনপি কার্যালয় তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেয়ার পর বিএনপি বলছে, তারা 'আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে' দিবসটি পালন করছে না। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সাতই মার্চ পালনের প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে। তিনি বলেন, "ঐতিহাসিক সাতই মার্চকে যারা এত দিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিলো তারাই এখন সাতই মার্চ পালন করবে"। ১৯৭১ সালের সাতই মার্চ ঢাকায় তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ও তার পরও ভাষণটি অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত বছর ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অমূল্য দলিল হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়। তবে প্রতি বছর সাতই মার্চে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোকেই দিবসটি পালন করতে দেখা যেতো। এবার স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাতে সাতই মার্চে আলোচনা সভার কর্মসূচি রাখা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের ভাষণ: যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন শেখ মুজিব ৭ই মার্চের উদযাপন কেন দলীয় বৃত্তেই আটকে আছে? খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টায় বিএনপি কেন নাজুক অবস্থানে শেখ মুজিবুর রহমান মূলত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন প্রতিক্রিয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অনেকেই প্রশ্ন তোলেন বিএনপি কি সাতই মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের যে বার্ষিকী, সেই আঙ্গিকে পালন করতে যাচ্ছে কি-না। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "না, আমরা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু করতে বা বলতে যাচ্ছিনা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মাস ব্যাপী কর্মসূচি আমাদের। একটি আলোচনা সভা সাতই মার্চে আছে এবং সেখানে আমাদের কথা বলবো"। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণের বার্ষিকী উপলক্ষেই বিএনপির আলোচনা সভার কর্মসূচি কি-না সেটি আসলে পরিষ্কারভাবে হ্যাঁ বা না বলেননি দলটির নেতাদের কেউ। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে সুপরিচিত অধ্যাপক ডঃ মাহবুব উল্লাহ বলছেন আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতিক্রিয়া তার চোখে পড়েছে কিন্তু এভাবে দেখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন না তিনি। "আমি জানিনা বিএনপি নতুন কিছু বলবে কি-না যা তারা ৭৭ সালের জন্মের পর থেকে বলেনি। তবে দলটি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আলোচনা করতেই পারে। হয়তো সাতই মার্চে হলেও সেটি শুধু সাতই মার্চে না থেকে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হতে পারে"। তিনি বলেন বিএনপি এখন হঠাৎ করে সাতই মার্চ নতুনভাবে পালন শুরু করলে তার কর্মীদের এর কারণও নিশ্চয় জানাবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াকে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে অভিযোগ করে থাকে "আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অনেক বিষয়কেই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে এবং তার ঐতিহাসিক কারণও আছে। এখন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সবকিছু নিয়েই আলোচনা কিংবা মূল্যায়ন করা যেতেই পারে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে," বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। তবে গত বুধবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে উৎসাহ ও গুরুত্বের সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের আহবান জানিয়েছেন। দলটির এবারের কর্মসূচিতে প্রথম বারের মতো ২৫শে মার্চের কালো রাত্রি উপলক্ষেও আলোচনা সভার কর্মসূচি রাখা হয়েছে। দলটির পরিকল্পনা অনুযায়ী পহেলা মার্চ সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচির উদ্বোধন হবে ঢাকায় আর ৩১শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ কর্মসূচির সমাপ্তি হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ত্রিশে মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশসহ মার্চ মাস জুড়ে উনিশ দিনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার অংশ হিসেবে দলটি সাতই মার্চ আলোচনা সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
হাইয়া সোফিয়া দেড় হাজার বছরের পুরোনো ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের তুরস্ক আবার এটাকে মসজিদে পরিণত করতে চায়, এবং আদালত পক্ষে রায় দিলে তা হতে পারে। তবে মাত্র ১৭ মিনিটের শুনানীর পর তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা – দি কাউন্সিল অব স্টেট – বলেছে তারা ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি রুলিং দেবেন। মসজিদ না জাদুঘর? হাইয়া সোফিয়া নির্মিত হয়েছিল ষষ্ঠ শতাব্দীতে, তখনকার বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে। প্রায় ১০০০ বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। পরে ১৪৫৩ সালে যখন ইস্তাম্বুল অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায়, তখন একে পরিণত করা হয় মসজিদে। ১৯৩০এর দশকে এটিকে পরিণত করা হয় এক জাদুঘরে। এটি এখন ইউনেস্কো-ঘোষিত একটি বিশ্ব-ঐতিহ্য স্থান। তুরস্কের ইসলামপস্থীরা বহুকাল ধরেই চাইছিলেন এটিকে আবার মসজিদে পরিণত করতে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলীয় এমপিরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের দিক থেকে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করার সমালোচনা করা হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানও বেশ কিছুকাল আগে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করার কথা বলেন। গত বছর মি. এরদোয়ান এক নির্বাচনী সভায় এই পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান। হাইয়া সোফিযা হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল ইস্টার্ন অর্থডক্স চার্চের প্রধান এর বিরোধিতা করেছেন। গ্রিস – যে দেশে লক্ষ লক্ষ অর্থডক্স খ্রীষ্টানের বাস – তারাও এর বিরোধিতা করেছে। গ্রিসের সংস্কৃতিমন্ত্রী লিনা মেনডোনি অভিযোগ করেছেন, তুরস্ক উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তুলতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, হাইয়া সোফিয়ার মত একটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের আন্ত:-সরকার কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন পরিবর্তন করা যাবে না। ইউনেস্কোর উপপরিচালক আরনেস্তো রামিরেজ একটি গ্রিক সংবাদপত্রে দেয়া সাক্ষাতকারে এর সাথে একমত প্রকাশ করে বলেছেন, এরকম পরিবর্তন আনতে হলে ব্যাপকভিত্তিক অনুমোদন প্রয়োজন। জাতিসংঘের এই প্রতিষ্ঠানটি তুরস্কের কাছে এ প্রস্তাব সম্পর্কে একটি চিঠি দিয়েছে। কিন্তু মি. রামিরেজ জানান, তারা কোন উত্তর পাননি। হাইয়া সোফিয়ার বিচিত্র ইতিহাস বসপরাস প্রণালীর পশ্চিম পাড়ে ইস্তাম্বুলের ফাতিহ এলাকায় গম্বুজশোভিত এই বিশাল ঐতিহাসিক ভবনটি খুব সহজেই দর্শকদের নজর কাড়ে। সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে এই হাইয়া সোফিয়া নির্মাণ শুরু হয়েছিল ৫৩২ খ্রীষ্টাব্দে। ইস্তাম্বুল শহরের নাম তখন ছিল কনস্টান্টিনোপল, যা ছিল বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী – যাকে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যও বলা হয়। হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করার সমর্থকরা এর বাইরে নামাজ পড়ছেন এই সুবিশাল ক্যাথিড্রাল তৈরির সময় তখনকার প্রকৌশলীরা ভূমধ্যসাগরের ওপার থেকে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন। হাইয়া সোফিয়া নির্মাণ শেষ হয় ৫৩৭ সালে। এখানে ছিল অর্থডক্স চার্চের প্রধানের অবস্থান। বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজকীয় অনুষ্ঠান, রাজার অভিষেক ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হতো এখানেই। প্রায় ৯০০ বছর ধরে হাইয়া সোফিয়া ছিল পূর্বাঞ্চলীয় অর্থডক্স খ্রিষ্টান ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু। অবশ্য মাঝখানে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে একটি সংক্ষিপ্ত কালপর্ব ছাড়া, যখন চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ইউরোপের ক্যাথলিকরা এক অভিযান চালিয়ে কনস্টান্টিনোপল দখল করে নেয়। তারা হাইয়া সোফিয়াকে একটি ক্যাথলিক ক্যাথিড্রালে পরিণত করেছিল। কিন্তু ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায় কনস্টান্টিনোপল। এর নতুন নাম হয় ইস্তাম্বুল। চিরকালের মত অবসান হয় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের। হাইয়া সোফিয়ায় ঢুকে বিজয়ী সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ নির্দেশ দেন এটাকে সংস্কার করে একটি মসজিদে পরিণত করতে। তিনি এই ভবনে প্রথম শুক্রবারের নামাজ পড়েন। তার কয়েকদিন আগে অভিযানকারী বাহিনী এখানে ধ্বংসলীলা চালায়। অটোমান স্থপতিরা হাইয়া সোফিয়ার ভেতরের অর্থডক্স খ্রীষ্টান ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতীক-চিহ্নগুলো সরিয়ে ফেলেন বা পলেস্তারা দিয়ে ঢেকে দেন। ভবনের বাইরের অংশে যোগ করা হয় উঁচু মিনার। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ নির্দেশ দেন এটাকে একটি মসজিদে পরিণত করতে ইস্তাম্বুলে ১৬১৬ সালে ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত হাইয়া সোফিয়াই ছিল শহরের প্রধান মসজিদ। নীল মসজিদ সহ এ শহরের এবং বিশ্বের অন্য বহু মসজিদের নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করে এর স্থাপত্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৮ সালে শেষ হলে অটোমান সাম্রাজ্য পরাজিত হয়। বিজয়ী মিত্রশক্তিগুলো তাদের ভূখন্ডকে নানা ভাগে ভাগ করে ফেলে। তবে ওই সাম্রাজ্যের অবশেষ থেকেই জাতীয়তাবাদী তুর্কী শক্তির উত্থান হয়। তারা প্রতিষ্ঠা করে আধুনিক তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক আদেশ দেন, হাইয়া সোফিয়াকে একটি জাদুঘরে পরিণত করতে। হাইয়া সোফিয়াকে ১৯৩৫ সালে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। এই হাইয়া সোফিয়া এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? তুরস্কের ভেতরে এবং বাইরে বহু গোষ্ঠীর জন্য হাইয়া সোফিয়ার ১৫০০ বছরের ইতিহাস ব্যাপক ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। ১৯৩৪ সালে করা এক আইনে এই ভবনটিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৩৪ সালে করা এক আইনে এই ভবনটিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ধার্মিক মুসলমানরা দাবি করেন যে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করা হোক। তারা ওই আইনের বিরুদ্ধে ভবনটির বাইরে বিক্ষোভও করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বক্তব্যে এই দাবির প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। গত বছর স্থানীয় নির্বাচনের আগে এক প্রচার সভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, হাইয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করা ছিল এক “বিরাট ভুল।“ এর পর তিনি তার সহযোগীদের নির্দেশ দেন কিভাবে ভবনটিকে মসজিদে পরিণত করা যায় তা খতিয়ে দেখতে। পূর্বাঞ্চলীয় অর্থডক্স চার্চের প্রধান – যাকে বলা হয় ইকিউমেনিক্যাল প্যাট্রিয়ার্ক অব কনস্টান্টিনোপল – তার দফতর এখনো ইস্তাম্বুলে। গত মঙ্গলবার প্যাট্রিয়ার্ক প্রথম বার্থোলোমিউ সতর্ক করে দেন যে, এই ভবনকে মসজিদে পরিণত করা হলে সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ খ্রীষ্টান মর্মাহত হবে এবং দুই বিশ্বের মধ্যে ফাটল দেখা দেবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, হাইয়া সোফিয়ায় কোন পরিবর্তন আনা হলে তা এখন যেভাবে দুই ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সেতু হিসেবে কাজ করছে তা বিনষ্ট হবে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন এ্যাম্বাসাডর এ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন হাইয়া সোফিয়া এখন যে অবস্থায় আছে তেমনি রাখা হয়। কিন্তু তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জোর দিয়ে বলেছেন, এই ভবনটির অবস্থান তুরস্কের ভূখন্ডে, তাই এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গ্রীসের কিছু বলার থাকতে পারে না। ‍“আমরা আমাদের দেশে আমাদের সম্পদ নিয়ে কী করছি তা আমাদের বিষয়” – তুরস্কের টুয়েন্টিফোর টিভিকে বলেন মি. কাভুসোগলু। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কখন থেকে ভ্রমণের জন্য বিদেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা? চীনের জন্য তৈরি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ঢেলে সাজাচ্ছে প্রতিরক্ষা করোনাভাইরাস আপনার মস্তিষ্কের কী অবস্থা করে? ছয় মাসে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড আরও বেড়েছে
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের হাইয়া সোফিয়া-কে মসজিদে পরিণত করা হবে কিনা – এ ব্যাপারে আজ সেদেশের এক আদালতের যে রায় দেবার কথা ছিল, তা ১৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা এসব দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবে না বা বাংলাদেশে থেকে কেউ এসব দেশে যেতে পারবেন না। এর আগে চারটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত ছিল। ফলে এখন মোট ১১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হলো। শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক। নিষেধাজ্ঞায় নতুন যুক্ত হওয়া দেশগুলো হলো- বাহরাইন, বলিভিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং উরুগুয়ে। আগে থেকে এই তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ভারত ও নেপাল। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা এসব দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবে না বা বাংলাদেশে থেকে কেউ এসব দেশে যেতে পারবেন না। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ওমান, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, মঙ্গোলিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গত পহেলা মে থেকে শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেশগুলোর তালিকা দিয়ে বেবিচক বলছে, এক্ষেত্রে যাত্রী আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। এ-ক্যাটেগরিতে যেসব দেশ রয়েছে, সেসব দেশে কেউ যেতে পারবেন না বা বিদেশি কেউ এসব দেশ থেকে আসতে পারবেন না। তবে যেসব অনিবাসী বাংলাদেশি অন্তত ১৫ দিন পূর্বে এসব দেশে গিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন। তবে তাদের দেশে ফিরে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশে আসার আগেই হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে। এখন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ১১টি দেশ রয়েছে এ ক্যাটেগরিতে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: দিশেহারা বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি ক্যাটেগরি বি-তে যেসব দেশ রয়েছে, সেসব দেশের সকল নাগরিকরা বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে এই দেশে আসার পর নিজেদের খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশে আসার আগেই হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের এসব দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, গ্রিস। তবে এই ক্যাটেগরিতে থাকা কুয়েত ও ওমান থেকে আসা যাত্রীদের তিনদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। গ্রুপ সি-তে রয়েছে এর বাইরের দেশগুলো, যেখানে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, চীন, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশ। এসব দেশে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে এসব দেশ থেকে যারা ফিরবেন, তাদের বাড়ীতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হবে। বাংলাদেশে আসা সকল যাত্রীদের (১০ বছরের নীচের শিশু ব্যতীত) করোনাভাইরাসের পিসিআর নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। বিমান যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে এসব টেস্ট হতে হবে। বিদেশগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে ওই দেশের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশে চলাচলে বিধিনিষেধ ঘোষণার পর ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে ২৫শে এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু করা হয়েছে। ২০২০ সালে সাধারণ ছুটির সময় টানা দুইমাস বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি দেশ ব্যতীত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আফ্রিকার দেশগুলিতে কি সামরিক অভ্যুত্থানের সংখ্যা বাড়ছে? নানা ধরনের ফাঙ্গাস সংক্রমণে নাকাল ভারতের কোভিড রোগীরা মহামারির বছরেও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ খরচ হলোনা কেন? যে পাঁচটি কারণে বাংলাদেশে পহেলা জুলাই থেকে অবৈধ ফোনসেট বন্ধ হয়ে যাবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে শুক্রবার থেকে আরও সাতটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পাকিস্তানের আইএসপিআর এই ছবিটি প্রকাশ করেছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। ১২টি মিরেজ-২০০০ বোমারু বিমান এই অপারেশনে অংশ নিয়েছিল আর তারা নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্যদিকে জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপরে প্রায় এক হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করেছে বলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওই সূত্র এএনআই কে জানিয়েছে। আরো পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব বিশ্বের জন্য কত বড় হুমকি? কাশ্মীরে আধাসামরিক কনভয়ে বোমা হামলা, নিহত ৩৪ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহম্মদের একটি কন্ট্রোল রুম, যার সাংকেতিক নাম আলফা-৩, সেটিকে ভারতীয় বাহিনী ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে বলেও দাবী করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটের দিকে এই অপারেশন হয় বলে দাবি করেছে ভারতের বিমান বাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে মুজফ্ফরাবাদ সেক্টর দিয়ে ভারতীয় বিমান আকাশ-সীমা লঙ্ঘন করেছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, তাদের বিমানবাহিনী সঙ্গে সঙ্গেই তাড়া করে ভারতীয় বিমানগুলিকে। ভারতীয় বিমান থেকে যে বোমা ফেলা হয়েছিল তা বালাকোটের কাছে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন মেজর জেনারেল গফুর। ভারতীয় বিমান থেকে ফেলা বোমার টুকরোর একটি ছবিও টুইটারে শেয়ার করেছেন তিনি। সকাল ১১টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে কোনও হতাহতের খবর কোনও পক্ষ থেকেই দাবী করা হয় নি। জইশ-ই-মোহম্মদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ের ওপরে হামলা চালিয়ে ৪০ জনের বেশী সি আর পি এফ সদস্যকে হত্যা করে বলে ওই সংগঠনটি নিজেরাই দাবী করেছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এর টুইট তারপর থেকেই ভারতের নানা মহল থেকে দাবী উঠছিল যে ওই হামলার কড়া জবাব দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন ওই হামলা যারা করেছে, তারা বড় ভুল করেছে। এজন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এর আগে কাশ্মীরের উরিতে সেনা-ছাউনির ওপরে জঙ্গি হামলার পরেই ভারতীয় পদাতিক বাহিনী আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করে 'সার্জিকাল স্ট্রাইক' চালিয়েছিল। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। (ফাইল ফটো) আরও পড়তে পারেন: বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী ব্যক্তির সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে গোল্ডেন রাইস: ভালো না খারাপ? বিমানে যা ঘটলো তার কী মূল্য দেবে বাংলাদেশ?
মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতের বিমানবাহিনী লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে বোমাবর্ষণ করেছে বলে দাবী করছে ভারত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া সেতু দুদিন আগে মাঝেরহাটের ব্রিজটা ভেঙ্গে পড়ার পর থেকেই তাঁদের মনে ভয় ঢুকেছে। কারণ এই তিনজনও যে দক্ষিণ কলকাতার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর গায়ে অথবা নীচে কিংবা পাশেই থাকেন। ব্রিজগুলোকে ঘিরেই তাদের জীবন। বৃহস্পতিবার দুপুরবেলা দক্ষিণ কলকাতার অতি ব্যস্ত গড়িয়াহাট মোড়ের উড়ালপুলের নিচে রান্না চাপিয়েছিলেন রুমা পোদ্দার। মাছের ঝোলে ফোড়ন দিতে দিতেই বলছিলেন, "আমরা জন্ম থেকে এই ব্রীজের নীচেই থাকি। আরও অনেক পরিবার থাকে। পরশুদিন যখন প্রথম শুনলাম যে মাঝেরহাটে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে, তখন থেকেই মনে হচ্ছে হঠাৎ করে এখানে না কোনও ঘটনা হয়ে যায়।" "বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আমরা তো থাকিই, সারাদিন রাত লাখ মানুষের যাতায়াত এই গড়িয়াহাট দিয়ে। তাই ভয় তো পাচ্ছিই।" ওই উড়ালপুলের নীচেই বসবাস করেন পূর্ণিমা পোদ্দার। ব্রিজের নিচেই রোজকার রান্নাবান্না পূর্ণিমা পোদ্দারের বিবিসি বাংলার পেজে আরও পড়ুন : বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? কমানোর ৭টি উপায় মহাকাশ স্টেশনে রহস্যজনক এই ছিদ্রটি করলো কে? যে পাঁচজনের লড়াইয়ে ভারতে সমকামিতা বৈধ হল তাঁর কথায়, "মাঝেরহাটের ব্রিজ ভাঙ্গার খবর জানার পর থেকেই ভয় তো হচ্ছেই। ছেলেপুলে নিয়ে থাকি। কোনও যদি ঘটনা ঘটে যায়, পালানোর সময়ও কি পাব?" ওই ব্রিজের নিচেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা দেখভাল করেন পার্কিং অ্যাটেন্ডেন্ট রাহুল পোদ্দার। তিনি বলছিলেন, "ওই ব্রিজটার মতো যে এটার অবস্থা হবে না, সেটা কি কেউ বলতে পারে? শুধু আমার না, এখানে যত ড্রাইভার বা মালিক গাড়ি পার্ক করতে আসছেন, তারাও সবাই এই প্রশ্নটাই করছেন, যে মাঝেরহাটের মতো এটা আবার ভেঙ্গে পড়বে না তো? সকলের মনেই একটা ভয় ঢুকেছে।" এই উড়ালপুল পেরিয়ে রোজ প্রায় সাত থেকে আটবার মিনিবাস নিয়ে কলকাতার কেন্দ্রস্থল বিবাদী বাগ এলাকায় যান চালক স্বপন বিশ্বাস আর বাসের কন্ডাক্টর সমীর গুহ। দক্ষিণ কলকাতা থেকে বিবাদী বাগ বা ডালহৌসি যেতে হলে তাদের বাস নিয়ে অন্তত তিনটি ব্রিজ আর ফ্লাইওভার পেরতে হয়। আরেকটি ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যেতে হয় বেশ অনেকটা পথ। দীর্ঘদিন ধরে বাস চালাচ্ছেন তারা, তবে দুজনেই বলছিলেন যে সেতু বা ব্রিজগুলো পার হওয়ার সময়ে দুদিন ধরে একটু ভয় করতে শুরু করেছে তাদের। কলকাতার গড়িয়াহাট সেতুর নিচেই ব্যস্ত ক্রসিং গড়িয়াহাটের উড়ালপুলটার বয়স প্রায় দুদশক, যেখানে মঙ্গলবার ভেঙ্গে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরি হয়েছিল প্রায় ৫০ বছর আগে। তবে তার থেকেও পুরনো, ৮২ বছরের একটি সেতু রয়েছে টালিগঞ্জে, আদিগঙ্গার ওপরে। সেটা পেরিয়েই রোজ দুবেলা যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর সিংকে। ওই ব্রিজের ওপরেই দেখা হয়েছিল তার সঙ্গে। বলছিলেন, "ব্রিজটার অবস্থা খুব খারাপ। নীচের দিকে গেলে নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। সিমেন্ট খসে গিয়ে রড বেরিয়ে গেছে, সেগুলোতে আবার জঙ ধরে গেছে। দুবেলা যাতায়াত করি, যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে।" ওই টালিগঞ্জ ব্রিজের ওপরেই বাজার রয়েছে একটি। সেখানেই কাপড়ের দোকান মনোরঞ্জন পোড়ের। "বহু বছর দোকান চালাচ্ছি, আগে কাঁপুনি হত না। কিন্তু এখন দেখি একটু বড় গাড়ি গেলেই ভাইব্রেশন হয়। কিন্তু এখানে দোকান, তাই পেটের দায়ে ভয় নিয়েও দোকান দিতেই হয়। দোকানের সামনেই বেশ কয়েক জায়গা ফেটে গিয়েছিল, নিজেরাই সিমেন্ট দিয়ে বুজিয়েছি," বলছিলেন মি. পোড়ে। পাশেই সব্জি বিক্রি করেন পূর্ণিমা মন্ডল। টালিগঞ্জ ব্রিজের ওপরেই কাপড়ের দোকান মনোরঞ্জন পোড়ের তিনি বলছিলেন, "বহু বছর থেকেই দেখি বড় গাড়ি গেলেই কাঁপে ব্রিজটা। তাই এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। মাঝেরহাটের ব্রিজ ভাঙ্গার পরে তাই নতুন করে মনে ভয় ঢোকেনি আমার মনে।" তবে মঙ্গলবার বিকেলে মাঝেরহাটের ব্রিজ যেভাবে হঠাৎ করে ভেঙ্গে পড়েছে, সেই দৃশ্য দেখার পর থেকে কলকাতার মান্যগণ্য বাসিন্দা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে লিখতে শুরু করেছেন, যে কোনও ব্রিজ বা ফ্লাইওভার পেরনোর সময়ে তাদের মনে একটা ভয় কাজ করতে শুরু করেছে। ভয়টা হয়তো অমূলকও নয়। কারণ এই প্রথম যে কলকাতায় কোনও সেতু ভেঙ্গে পড়ল, তা নয়। গত পাঁচ বছরে মাঝেরহাট নিয়ে তিনটি সেতু ভেঙ্গেছে। বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার রাস্তায়, উল্টোডাঙ্গার ফ্লাইওভারের একটি অংশ হঠাৎই ধসে গিয়েছিল রাত্রিবেলা একটি ট্রাকসহ। সেবার কেউ নিহত হননি। আহত হয়েছিলেন ওই ট্রাকের দুজন কর্মী। তারপরে ২০১৬ সালে উত্তর কলকাতায় একটি নির্মীয়মান ফ্লাইওভারের একটা বড় অংশ ভেঙ্গে পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। আহত হন ৮০জন। তারপরে সর্বশেষ সেতু ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা মাঝেরহাটে, যেখানে তিনজন মারা গেছেন, আর আহতের সংখ্যা ২৫। আশি বছরেরও বেশি পুরনো আদিগঙ্গার ওপর টালিগঞ্জ ব্রিজ ভেঙ্গে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজটির কাছাকাছি বয়স ঢাকুরিয়া ব্রিজেরও, যার পোষাকি নাম চৈতন্য মহাপ্রভু সেতু। সেটির নীচ দিয়ে যে রেললাইন পশ্চিমে বজবজের দিকে চলে গেছে, সেই একই লাইনের ওপরেই অবস্থিত ছিল মাঝেরহাট ব্রিজটিও। কয়েক বছর আগে আবিষ্কৃত হয় যে বিরাট আকারের ইঁদুর প্রচুর সংখ্যায় ঢুকে ঢাকুরিয়া ব্রিজটি নড়বড়ে করে দিয়েছে। প্রথমে সেই ইঁদুর নিধন চললো, তারপরে গতবছর প্রায় দেড়মাস ধরে ব্রিজের একটা অংশ বন্ধ করে রেখে মেরামত করা হয়েছে। ওই ব্রিজের নিচে বসবাস করেন, এমন কয়েকজন বলছিলেন, যেভাবে সেতু মেরামতি হয়েছে, তারপরে তাদের মনে এখন আর সেটি ভেঙ্গে পড়ার ভয় নেই। ওই ব্রীজের ঠিক নীচে একটি ছোট দোকান চালান ত্রিপুরারি হালদার। তিনি বলছিলেন, "যেভাবে মেরামত করা হয়েছে চোখের সামনেই দেখেছি তো। ভালই কাজ হয়েছে। একবার ইঁদুর সরানো হয়েছে, তারপরে সেই গর্তগুলোকে বুজিয়ে দিয়ে ওপরটা নতুন করে সারাই করেছে।" ব্রিজগুলোর ওপর দিয়ে রোজ বহুবার যেতে হয় বাস কন্ডাক্টর সমীর গুহকে কিন্তু ওই ব্রিজের ঠিক যে অংশ মেরামত করা হয়েছে, সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছবি তুলতে গিয়ে পাশ দিয়ে একটা বাস চলে যাওয়ার সময়ে অনুভব করলাম, একটু কেঁপে উঠল পায়ের নিচটা। তাহলে কি আমার মনের ভুল? না কি এটা জিফাইরোফোবিয়া - সেতু নিয়ে একটা মানসিক আতঙ্ক? যেটা কলকাতার অনেক মানুষের মনেই তৈরি হয়েছে! ত্রিপুরারি হালদারের এক প্রতিবেশী মঙ্গলা বিশ্বাস অবশ্য বলছিলেন, "ওপর থেকে সারানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নীচে ভেতরের দিকে চিড় ধরছে। রেললাইনের দিকটায় গেলে দেখতে পাবেন।" ব্রিজের অন্যদিকে দর্জির দোকান চালান পঙ্কজ মন্ডল আর তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি মন্ডল। তারা বললেন, "দুবার করে মেরামতি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কতটা কী হয়েছে সে তো আর আমরা জানি না। তবে এটা দেখছি যে প্রত্যেক বছর ব্রীজটার নীল-সাদা রং হচ্ছে।" পশ্চিমবঙ্গে সব সরকারি ভবন, রাস্তা ডিভাইডার বা সেতুর ধারগুলি গত ৫-৬ বছর ধরেই নীল-সাদা রং করা হচ্ছে, যেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রিয় রং বলে পরিচিত।
ঢাকুরিয়ার মঙ্গলা বিশ্বাস, গড়িয়াহাটের রুমা পোদ্দার আর টালিগঞ্জের শঙ্কর সিং আতঙ্কে ভুগছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ক্যাসিনোর রোলেট হুইলে লাখ-লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়। নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যেখানে বৈধভাবে ক্যাসিনো চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে ৯টি এবং রাজধানীর বাইরে ২টি ক্যাসিনো আছে। কাঠমান্ডুতে বিবিসির সংবাদদাতা বিষ্ণু পোখারেল বলেন, প্রতিটি ক্যাসিনোতে কমপক্ষে ৩০০'র মতো কর্মী রয়েছে। এসব ক্যাসিনোর বাইরে নেপাল-ভারত সীমান্তে দুই ডজনের বেশি ছোট ক্যাসিনো রয়েছে। তবে নেপালের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকরা ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে পারেননা। এই ব্যবস্থা শুধুই বিদেশী নাগরিকদের জন্য। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনোতে নেপালের অনেক নাগরিক কাজ করতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় এ বিষয়টি উঠে এসেছে। কর্মকর্তাদের তথ্যমতে যেসব ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে শতাধিক নেপালের নাগরিক কাজ করতো। এদের মধ্যে অনেকে নারী। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ক্যাসিনোতে নেপালের নাগরিকরা কেন কাজ করতো? ক্যাসিনোর জন্য যেসব জুয়ার বোর্ড আনা হয়েছে সেগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ লোক বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া নেপালি নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ক্যাসিনোগুলোকে একটু অভিজাত চেহারা দেবার চেষ্টা করেছেন ক্যাসিনো মালিকরা। র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তিনি চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখানে ১৬ জন নেপালের নাগরিকের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। "তারা মূলত ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতো, ক্যাসিনো পরিচালনায় তারা দক্ষ," বলছিলেন মি. বুলবুল। নেপালের নাগরিকরা এসব বোর্ড পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশী কয়েকজনকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রবিবার ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকার ক্যাসিনোগুলোতে নেপালের নাগরিকদের অধিকাংশই বেতনভূক্ত কর্মচারী ছিলেন বলে জানান পুলিশের এক কর্মকর্তা। তবে কয়েকজন নেপালি নাগরিক কয়েকটি ক্যাসিনোতে অংশীদার ছিল বলে কর্মকর্তারা বলছেন। তাছাড়া নেপালের নাগরিকদের বেতন অন্য দেশের ক্যাসিনো অপারেটরদের তুলনায় কম। কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে যেসব নেপালের নাগরিক সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার করতে সুবিধা হতো - এমন তথ্যও পেয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। রবিবার ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে পুলিশ যে অভিযান চালিয়েছে সেখানে ১৬ জন নেপালের নাগরিক সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঢাকার ক্যাসিনোতে নেপালি নাগরিকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে আটক করেনি। কাঠমান্ডুতে বিবিসির সংবাদদাতা বিষ্ণু পোখারেল বলেন, ক্যাসিনো পরিচালনায় নেপালিরা বেশ দক্ষ। ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য নেপালিরা বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, তাইওয়ান, আমেরিকা এবং ইওরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি ক্যাসিনো আরো খবর: শেখ হাসিনা কেন হঠাৎ 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে' সজাগ হলেন কনেযাত্রী বরের বাড়িতে, বরকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন কনে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান কী পৃথিবী থেকে যে ছয়টি জিনিস ফুরিয়ে যাচ্ছে
হিমালয়ের দেশ হিসেবে খ্যাত নেপাল পর্যটনের সুপরিচিত। এই পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করেই নেপালে গড়ে উঠেছে ক্যাসিনো।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নির্বাচনে এবার তারকার মেলা। বিশেষভাবে সবার নজর রাজনৈতিক নেতা আর সেলেব্রিটি প্রার্থীদের হলফনামা এবং আয়কর রিটার্নের দিকে যেখানে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের এই হলফনামা দাখিল করতে হয়। এই হলফ নামায় প্রার্থীদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত ও আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিতে হয়। এসব তথ্য দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে ভোটাররা তাদের ভোট দেয়ার আগেই প্রার্থী সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন। এই তথ্য নির্বাচন কমিশন বা ইসি'র ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয় - যাতে যে কেউ চাইলেই এটি দেখতে পারেন। এখানে বিভিন্ন দলের ছয় জন তারকা প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের হিসেবের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো: মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নড়াইল-২ আওয়ামী লীগ) মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ক্রিকেট জগত থেকে মাশরাফীর রাজনীতিতে সরে আসার সিদ্ধান্তকে ঘিরে অনেক বাদানুবাদ হয়েছে ভক্তদের মধ্যে। তার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ ছিল প্রবল। তিনি তার আয় এবং সম্পদের যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে এক কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকা। এছাড়া চাকরি থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে আয় হয়েছে পাঁচ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। পাশাপাশি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্যা ম্যাশ লিমিটেড থেকে তার আয় হয়েছে সাত লক্ষ ২০ হাজার টাকা। বেবি নাজনীন (নীলফামারী-৪, বিএনপি) বেবি নাজনীন, কণ্ঠশিল্পী কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন নীলফামারীর সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী। দলের পক্ষে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও সাবেক সাংসদ মো. আমজাদ হোসেন সরকারও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বেবি নাজনীন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক। তিনি যে হলফনামা দাখিল করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, তার কাছে বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে পাঁচ লক্ষ। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া রয়েছে এক লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার। ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। ৬৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট। পেশা থেকে তার আয় হয়েছে পাঁচ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ) মমতাজ, লোকসঙ্গীত শিল্পী লোকসঙ্গীত শিল্পী মমতাজ প্রথমবার সংসদে যোগদান করেন ২০০৯ সালে। তিনি ৯ম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তার হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, তার আয় আনুমানিক ৩৯ লক্ষ টাকা। তার কাছে নগদ রয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা। স্বামীর নামে রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। তার নিজের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ৮৬ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। স্বামীর নামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। এর বাইরে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজের শেয়ার রয়েছে তার নামে সাড়ে তিন কোটি টাকার। আর তিন সন্তানের নামে শেয়ার রয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে মমতাজের রয়েছে মহাখালীতে পাঁচ কাঠা জমির ওপর পাঁচ তলা ভবন, যার মূল্য ধরা হয়েছে ছয় কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। আর মানিকগঞ্জে ২১ শতক জমির ওপর দালান, যার মূল্য ৫৭ লক্ষ টাকা। মো. মাসুদ পারভেজ (বরিশাল-২ জাতীয় পার্টি): মো. মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রয়োজক, পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা নামেই বেশি পরিচিত। তিনি একসময় ছাত্রলীগ করতেন। পরে তিনি ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। মি. পারভেজ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবেও নিয়োগ লাভ করেন। তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন, পেশা থেকে তার আয় আট লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে নগদ গচ্ছিত রয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। মূলধনী লাভ দেখিয়েছেন তিন লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ঢাকার উত্তরায় তার বাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে নয় লক্ষ টাকা। এর বাইরে কাকরাইলে অফিসের মূল্য ১৬ লক্ষ, বান্দরবানের রাবার বাগানের মূল্য দুই লক্ষ, তুরাগের দিয়াবাড়ীতে ৪৫ শতক জমির মূল্য এক কোটি ৮০ লক্ষ আর কক্সবাজারে ৩৮ শতাংশ জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ-১ বিএনপি): রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, কণ্ঠশিল্পী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ, যিনি কনকচাঁপা নামেই বেশি পরিচিত, লড়ছেন সিরাজগঞ্জ-১ অর্থাৎ কাজীপুর আসন থেকে। এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। কনকচাঁপা তার হলফনামায় জানিয়েছেন, পেশা থেকে তার আয় হয়েছে ছয় লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সূত্রে আয় হয়েছে চার লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৬৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকা। শেয়ার রয়েছে তিন লক্ষ ৩১ হাজার টাকার। কৃষি জমি রয়েছে ২০ লক্ষ টাকার। অকৃষি জমি, ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার। আর তার অ্যাপার্টমেন্টের দাম ধরা হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। মো. আশরাফুল হোসেন আলম, হিরো আলম (বগুড়া-৪, স্বতন্ত্র): আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। চলতি বছর বাংলাদেশের মানুষ যে দু'জনকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গুগল করেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন হিরো আলম। তার আসল নাম মো. আশরাফুল হোসেন আলম। তার নির্বাচনী আকাঙ্খার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার গোড়াতে তিনি ধাক্কা খেলেও পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। এরপর থেকে তিনি বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। তার প্রতীক সিংহ। হিরো আলমের হলফনামায় দেখা গেছে তার আয় মোট দুই লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। পেশা থেকে আয় দুই লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। বাকিটা কৃষিখাত থেকে। নয় শতক জমির ওপর তার পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে, পাশাপাশি দেড় বিঘা জমির ওপর রয়েছে পৈত্রিক কৃষিজমি। বিবাহসূত্রে পাওয়া ১০ ভরি স্বর্ণালংকারের কথা তিনি তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যে হিসেব প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া কিছু শরণার্থী গ্রিসের কাস্তানিস সীমান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলছেন, 'ইউরোপে যাওয়ার দরজা খুলে দেওয়ার পর ১৮,০০০ অভিবাসী সীমান্ত পার হয়ে ইউরোপে চলে গেছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যারা শরণার্থী হয়েছেন তুরস্ক তাদেরকে আর জায়গা দিতে পারছে না। তুরস্কের যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা বলেছেন, লাখ লাখ সিরিয় শরণার্থীকে তাদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে দেশটি যথেষ্ট সহযোগিতা পায় নি। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কী সৈন্যদের ওপর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী এক হামলার পর তুরস্ক তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। ইদলিব প্রদেশে চালানো ওই হামলায় তুরস্কের কমপক্ষে ৩৩ জন সৈন্য নিহত হয়। হামলার পর সিরিয়ার মিত্র দেশ রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। তুরস্কের এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী দুটো দেশ গ্রিস ও বুলগেরিয়া সীমান্তে লোকবল মোতায়েন করেছে - যাতে শরণার্থী ও অভিবাসীরা এই দুটো দেশে ঢুকতে না পারে। কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে, তাদেরকে ঠেকাতে গ্রিসের পুলিশ কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করছে। Migrants head for Turkey's EU borders কেন তুরস্কের এই সিদ্ধান্ত তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ৩৭ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার। এছাড়াও আফগানিস্তান থেকে আসা অনেককেও তুরস্কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই শরণার্থী ও অভিবাসীরা যাতে ইউরোপে যেতে না পারে সেজন্য ই.ইউর সাথে করা এক সমঝোতার আওতায় তুরস্ক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। এজন্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তুরস্ককে কিছু অর্থ সাহায্যও দিয়েছিল। তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শরণার্থীরা পায়ে হেঁটে গ্রিস সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গ্রিসের লেসবস দ্বীপে পৌঁছাতে অনেককে তুরস্কের আরো দক্ষিণ থেকে নৌকায় উঠতেও দেখা গেছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিটসোটাকিস বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় "উল্লেখযোগ্য সংখ্যক" অভিবাসী জড়ো হয়েছে তবে কোন "অবৈধ অভিবাসীকে গ্রিসে কোনভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।" তিনি বলেছেন, তাদের রুখতে স্থল ও জল সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। আফগান অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা শুক্রবার গ্রিসের লেসবস দ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছে। তুরস্কে যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন বলেছেন, অভিবাসীরা এখন শুধু তুরস্কের জন্যে নয়, ইউরোপ ও বিশ্বেরও সমস্যা। তিনি বলেন, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা ছাড়া তুরস্কের হাতে "আর কোন উপায় নেই।" এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তুরস্ক ইউরোপের দেশগুলোর কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পায় নি। এর আগে তিনি বলেছেন, ইদলিবের যুদ্ধে নতুন করে যে দশ লাখ শরণার্থী তৈরি হয়েছে তুরস্কের ক্ষমতা নেই তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "সেখানে উড়ান নিষিদ্ধ করে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।" আরো পড়তে পারেন: তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে 'সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা' যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পরও সিরিয়ায় হামলা ডিসেম্বর মাসের পর থেকে ইদলিবে অন্তত ৪৬৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪৫ জন শিশু। জাতিসংঘ বলছে, এদের বেশিরভাগই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের হামলায় নিহত হয়েছে। ইদলিবে হামলা ইদলিব সিরিয়ার একমাত্র প্রদেশ যেখানে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীরা এখনও কিছু অংশ দখল করে আছে। রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সৈন্যরা বিভিন্ন জিহাদি গ্রুপ ও তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে এই এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইদলিবে অনেকগুলো সিরিয়ান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ঘাঁটি গেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করা যায় সেটা খুঁজে বের করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, "এর ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক সংঘাত শুরু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।" এবিষয়ে শুক্রবার তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তারা দুজনেই একমত হয়েছেন। মস্কো আরো বলেছে যে এবিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন। নেটোর মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স জলটেনবার্গ বলেছেন, তুরস্ককে আরো বেশি রাজনৈতিক ও বাস্তবসম্মত সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। আরো পড়তে পারেন: দিল্লির দাঙ্গার মূলে কি নাগরিকত্ব আইন, নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসা? দিল্লিতে মুসলমান নারীদের বর্ণনায় ককটেল আর আগুনের ভয়াবহতা বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৮নম্বরে অতীশ দীপঙ্কর
শরণার্থী ও অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়া ঠেকাতে ইইউর সাথে তুরস্কের যে সমঝোতা হয়েছিল -আংকারা আর তা মেনে চলবে না, এ ঘোষণার পর দলে দলে লোক গ্রিস সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কোন হতাহত না হওয়ার বিষয়টি বিস্ময়কর বলে মনে করছেন অনেকে। বিমানটি জরুরী অবরতণ করানোর সময় সেটিতে জ্বালানী পরিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু তারপরেও বিমানের ২৩৩ জন যাত্রীর বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। রাশিয়ার মানুষ এ ঘটনাটিকে ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে একটি বিমানের জরুরী অবতরণের সাথে তুলনা করছেন। নিউ ইয়র্কের সে ঘটনায় বিমানটি উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিনে পাখির আঘাত লাগে। এরপর পাইলট হাডসন নদীতে বিমানটিকে জরুরী অবরতণ করিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ইউরাল এয়ারলাইন্সের ৩২১ এয়ারবাসটি রাশিয়ার ক্রাইমিয়ার সিমফেরোপলে যাচ্ছিল। বিমানটি ওড়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই এক ঝাঁক চিলের সাথে ধাক্কা খায় এবং ফলে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বিমানটিতে কী ঘটেছিল? ইউরাল এয়ারলাইন্সের বিমানটির ওজন ছিল ৭৭ টনের মতো। পাইলট দামির ইউসুপভ সাংবাদিকদের বলেন, বিমানের যাত্রী এবং ক্রুরা কিভাবে অল্পের জন্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। বিমানটি যখন দ্রুত গতিতে আকাশে উঠছিল, তখন প্রথম একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়। এরপর দ্বিতীয় ইঞ্জিনটিও আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বেশ ঠান্ডা মাথায় বিমানটিকে জরুরী অবতরণ করিয়েছেন পাইলট দামির ইউসুপভ। পাইলট ইউসুপভ বলেন, যখন একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় তখন তিনি ভাবছিলেন যে বিমানটিকে হয়তো বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নিতে পারবেন। "যখন আমি দেখলাম, বিমানের দ্বিতীয় ইঞ্জিনটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন বিমানটি মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল," বলছিলেন পাইলট। "আমি কয়েকবার আমার মত পরিবর্তন করেছি। কারণ, আমি বিমানটিকে উপরে তোলার চেষ্টা করছিলাম" কিন্তু ফ্লাইট রাডারে দেখা যাচ্ছিল যে বিমানটি মাত্র ৭৯৭ ফুট উপরে আছে। "আমি বিমানটিকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করলাম। ততক্ষণ বিমানটিকে সে উচ্চতায় ধরে রাখতে চেষ্টা করছিলাম। তখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাবার বিষয়টি দেখলাম। চেষ্টা করছিলাম একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু হাতে একেবারেই সময় ছিল না।" তখন বিমানের পাইলট এবং কো-পাইলট ইঞ্জিনে তেলের সরবরাহ বন্ধ করতে সক্ষম হন। ভুট্টা ক্ষেতে জরুরী অবতরণের পর যাত্রীদের দ্রুত বের করে আনা হয়। আরো পড়তে পারেন: মেগা প্রকল্প কি ঢাকার সড়কে বিড়ম্বনার অন্যতম কারণ? লাদাখে একদিকে উৎসব, অন্যদিকে ক্ষোভ হংকং বিক্ষোভে চীন কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে এরপর বিমানটি ধীরে-ধীরে শস্য ক্ষেতে নামিয়ে আনেন। তখন বিমানটির চাকাও খোলা যায়নি। পাইলট জানান, কিভাবে জরুরী অবতরণ করতে হয়, সে বিষয়টি তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছে ইউরাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিমুলেটরে। "নিজেকে আমার নায়ক মনে হচ্ছে না। আমরা যেটা করণীয় ছিল, আমি সেটাই করেছি।" রাশিয়ার একজন শীর্ষ পাইলট ইউরি সাইতনিক বলেন, বিমানের ক্রুরা সবকিছু বইয়ের নিয়ম অনুসারে করেছেন। প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধ করেছেন, এরপর বিমানটিকে ধীরে-ধীরে মাটিকে নামিয়ে এনেছেন। জরুরী নির্গমণ পথ দিয়ে যাত্রীদের দ্রুত নামিয়ে আনা হয়। ১১ বছর বয়সী এক বিমানযাত্রী বলেন, " একজন বিমানবালা বললেন, বিমান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখন আমরা সাথে-সাথে আতঙ্কিত হয়ে গেলাম।" বিমানের অবতরণ মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। প্রায় ৭০ জন যাত্রীকে চিকিৎসা দেয় হয়েছে। সৌভাগ্যবশত ভুট্টা ক্ষেতটি নরম আবরণের মতো কাজ করেছে। বৃষ্টিতে ভিজে ভুট্টা ক্ষেতটি কিছু স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ছিল। ফলে ঘর্ষণের কারণে আগুন ধরেনি। মস্কো শহরের অন্য কোন জায়গায় হলে বিমানটি রাস্তা কিংবা বিল্ডিং-এর উপর আঁছড়ে পড়তো। ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে জরুরী অবতরণ করান আরেক পাইলট। পাখির আঘাত কতটা গুরুতর? রাশিয়ার একটি দৈনিক বলেছে, ২০১৫ সালে রাশিয়ায় পাখির সাথে বিমানের ধাক্কা খাওয়ার ৪১১টি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১০২১টি। বিশ্বজুড়ে বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে এটি নিত্যদিনের ঝামেলা। সিভিল এভিয়েশনের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে ব্রিটেনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ১৮৩৫টি। রাশিয়াতে এ সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। জুকোভস্কি বিমানবন্দর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি ময়লার ভাগাড় আছে। এর ফলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখির আনাগোনা বেশি হয়। তবে মস্কোর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমানবন্দর থেকে সবচেয়ে কাছে ময়লার স্তূপটি ১৪ কিলোমিটার দূরে। রাশিয়ার একজন সামরিক পাইলট ভ্লাদিমির পপভ বলেন, রাশিয়ার বিমানবন্দরগুলোতে পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষজ্ঞ আছে। কিন্তু কোন পদক্ষেপই পুরোপুরি কাজে লাগছে না। তিনি বলেন, বিমানের ইঞ্জিনের সামনে কোন খাঁচা তৈরি করা যাবে না। কারণ, তাতে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। এর ফলে বিমানের গতি কমে যাবে। জেনারেল পপভ বলেন, অগাস্ট মাসটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় নতুন পাখিদের ডানা বড় হতে থাকে। তখন তারা বেশি ওড়ার চেষ্টা করে। আরেকটি উপায় হচ্ছে বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশের জমিতে ঘাসগুলো একেবারে ছোট করে দেয়া। যাতে এটি পাখিদের চারণভূমি হতে না পারে।
রাশিয়ার যে পাইলট কয়েকদিন আগে একটি বিমানকে শস্যক্ষেতে জরুরী অবতরণ করিয়েছেন, তিনি এখন অনেকের কাছেই নায়ক হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মাশরাফি বিন মর্তুজার রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে রবিবারে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল রাজনীতিতে মাশরাফির যোগ দেয়ার খবরটি। নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য রবিবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র নেন মাশরাফি। তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ক্ষোভ, দু:খ বা হতাশা প্রকাশ করার মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি। নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি 'অবসর' নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত ছিল মাশরাফির। যদিও পেশাদার খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার উদাহরণ বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নতুন নয়। ক্রিকেটারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই শ্রীলঙ্কার ২০১০ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন; পরবর্তীতে তিনি ঐ নির্বাচনে বিজয়ীও হন। আরো পড়তে পারেন: মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? মাশরাফির নির্বাচন: বিসিবি'র কোনো বাধানিষেধ আছে? আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিলেন মাশরাফি মাশরাফি বিন মর্তুজা মাশরাফিকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় ফারজানা রিমি মন্তব্য করেন, "দেশ যখন ভয়ানকভাবে বিভক্ত, এক ক্রিকেটই ছিল সবার অভিন্ন ভালবাসার জায়গা। রাজনীতির বাইরে থেকে এক মাশরাফি একটা কথা বললে সবার মাঝে যে প্রতিক্রিয়া ঘটতো, এখন কি তা হবে? দেশকে তো মাশরাফির আরও অনেক কিছু দেয়ার ছিল। সবকিছুকে কেন আমরা রাজনীতিকরণ করে ফেলি?" 'রাজনীতি তোমার মত ব্যক্তির জন্য না বস' অনেকেই মাশরাফির আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। আলী মোহাম্মদ হোসেন লিখেছেন, "নেতা যদি হতেই চাও ইমরান খানের মত আলাদা দল গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হও, আমরা আছি তোমার সাথে।" বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমির বিচারে রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি এবং সাধারণ মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, রাজনীতি যোগদান করলে মাশরাফির যেই ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে তা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রমজান রাজ নামের একজন লিখেছেন, "আমি চাইনা মাশরাফি বুড়ো বয়সে জেলে যাক, আমি চাই না দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার,ক্লিন ইমেজের মানুষটির দিকে আংগুল তাক করে কেউ কটু কথা বলুক!" পরিশেষে তিনি যোগ করেছেন, "দেশের রাজনীতি তোমার মত ব্যক্তির জন্য না 'বস'। প্লিজ ফিরে এসো ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।" 'রাজনীতিতে আসা উচিত, এরাই দেশকে বদলাবে' তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমালোচনা করলেও মাশরাফির সিদ্ধান্তের সমর্থন দেয়ার মানুষও কিন্তু কম না। অনেকেই মাশরাফির রাজনীতি যোগ দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, মাশরাফির মত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে যোগ দিলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের ধারা পাল্টে যাবে। আরমান মালিক লিখেছেন, "মাশরাফির মত ভাল লোকগুলো রাজনীতিতে আসা উচিত, এরাই দেশকে বদলাবে!" আরেকজন মন্তব্য করেছেন, "একজন ভালো মানুষ দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতো চিন্তার কিছু নেই। আমরা তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, যাতে সবার সামনে থেকে দেশের জন্যে নেতৃত্ব দিতে পারে।" ২০১৯ বিশ্বকাপ ও রাজনীতি অনেকে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি রাজনীতিতে যোগদান করলে খেলায় তাঁর মনোযোগ ব্যহত হতে পারে। তবে নির্বাচন করলে বিশ্বকাপের পারফরমেন্স প্রভাবিত হবে কি না, এবিষয়ে ভক্ত-সমর্থকরা যতটা চিন্তিত তার চেয়ে বেশি মাথাব্যাথা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের। আর এনিয়ে যতই আলোচনা-সমালোচনা হোক না কেন, রাজনীতিতে যোগ দেয়া বা না দেয়া যে আসলে মাশরাফির একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, এটিও দিনশেষে মনে রাখা উচিত সবার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতার খবরটি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে মাশরাফির ভক্ত-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে অনেক মানুষই অস্বস্তি বোধ করে থাকেন। তাহলে বোয়িং-এর জরিপ অনুযায়ী, আপনিও সেই ১৭ শতাংশ অ্যামেরিকানদের মতনই একজন যারা উড্ডয়নে ভয় পায়। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা বিমান দুর্ঘটনার পর উড্ডয়ন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক বা এএসএন-এর তথ্য অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে ৩৭ কোটি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। কিন্তু এর মধ্যে প্রতি ২৫ লাখ ২০ হাজার ফ্লাইটে একটি বিমান হয়তো দুর্ঘটনায় পড়ে। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনা হলে যেহেতু সেটি বড় খবর হয় তাই এই নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতির মাত্রা বাড়ে। তবে, উড্ডয়ন নিয়ে ভীতি কাটানো সম্ভব। বিভিন্ন পন্থায় ভয় কাটানো যেতে পারে। কয়েকজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শক্রমে ভয় কাটানোর কিছু তরিকা এখানে তুলে ধরা হলো। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এমন অনেকে রয়েছেন যারা উড্ডয়নে ভয় পান। হয়তো তারা আগে কখনোই বিমানে উঠেনি বা আগে তাদের কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ ভার্মন্ট এর ক্লিনিকেল সাইকোলজিস্ট ম্যাথিউ প্রাইস বলছিলেন, "কেন একজন মানুষ এধরণের ভীতিতে আক্রান্ত হবেন এই নিয়ে একটা ব্যাখ্যাও নেই। তবে, এই নিয়ে বহু কারণ রয়েছে।" এটা হয়তো 'বিমান বিধ্বস্ত হওয়া সম্পর্কে জানা বা বিমানে উঠলে বদ্ধ একটা পরিবেশে বন্দী থাকার জন্যেও হতে পারে' বলে মনে করেন তিনি। কারণ যাইহোক, উড্ডয়ন নিয়ে ভীতি যেহেতু অনেকেরই রয়েছে তাই ভীতি কাটানোর উপায় হিসেব শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের কথা বলেছেন তিনি। থেরাপি উড্ডয়নের সময় অনেকে কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, কেউ দুশ্চিন্তা প্রতিরোধী ওষুধ নেন আবার কেউ ধ্যানের মাধ্যমে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। কেউ-কেউ অবশ্য অ্যালকোহলও পান করেন। কিন্তু ভীতির মাত্রা যদি এতই বেশি হয় যে, ভয়ে আপনি একেবারে জড়োসড়ো হয়ে পড়েছেন, বিমানে উড্ডয়নই করছেন না তাহলে আপনার জন্য কিছু থেরাপি রয়েছে। মানুষের উড্ডয়নের ভীতি দূর করবার জন্য হিপনোথেরাপি, সাইকোথেরাপি বা কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ব্যাবহার করা হয়। আরো পড়তে পারেন: একের পর এক দেশ নিষিদ্ধ করছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইট ওড়া বন্ধ করেছে ভারতও বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ বছর ছিল ২০১৭। ভীতির মুখোমুখি ভীতিকে জয় করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শটি দেন সেটি হচ্ছে, যে বিষয়টিকে আপনি ভয় করেন সেই কাজটিই করার মাধ্যমে ভয় কাটানোর চেষ্টা করা। উড্ডয়নের ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ভীতি কাটানোর জন্য নানান পদ্ধতির মধ্যে একটি হচ্ছে বিশেষ কোর্সে ভর্তি হওয়া। যেমন: 'ফ্লায়িং উইদাউট ফিয়ার' বা নির্ভয়ে উড্ডয়ন নামে একটি কোর্স রয়েছে ভার্জিন আটলান্টিকে। এই কোর্সে প্রশিক্ষিত পাইলট আপনার নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর দেবেন, কেন আপনি ভয় পান বা কেন ভয় পাওয়া যৌক্তিক নয় সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তারা তুলে ধরবেন। এছাড়া যারা অযৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে থাকেন যে, 'এই বুঝি প্লেন ক্র্যাশ হতে চললো' - তাদেরকে এই প্রশিক্ষণের প্রথম সেশনে দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রনের কলা-কৌশল শেখানো হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর এর মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কারণ বাস্তবের বিমানের মতই এখানে অনুভূতি হয় কিন্তু সত্যিকারের বিমানের চেয়ে এখানে খরচ কম। আরো পড়তে পারেন: ডাকসুর নতুন ভিপি কে এই নুরুল হক মার্কিন সৈন্যরা 'মোটা', চীনারা 'হস্তমৈথুনে আসক্ত' পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ভারতীয় সিনেমা: ক্ষতি কার? তিন হাজার মুরগীর আক্রমণে মারা গেল শিয়াল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের সম্প্রতি বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮। বিমান দুর্ঘটনাই কি সবচেয়ে ভয়াবহ? বিমান বিধ্বস্ত হলে তা একটি বিরাট খবরে পরিণত হয়। সর্বশেষ ইথিওপিয়ায় উড্ডয়নের ছয় মিনিট পরেই বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ। এতে ১৫৭ জন আরোহীর সকলেই নিহত হন। তবে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা প্রায়শই বলেন যে, বিমান দুর্ঘটনার চেয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা বা সড়ক দূর্ঘটনায় আমাদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, ২০১৩ সালে সারা দুনিয়ায় ১০ লাখ ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। আর সার্বিকভাবে গাড়িতে ভ্রমণের ঝুঁকি বিমানের চেয়ে শতগুণ বেশি। এছাড়া বর্তমানে মানুষের ক্যান্সার ও হার্টের অসুখে মৃত্যুর আশঙ্কাও অনেক বেশি। ২০১৭ সাল ছিল বাণিজ্যিক এভিয়েশানের ইতিহাসে অত্যন্ত নিরাপদ বছর। সে বছর পৃথিবীতে কোথাও যাত্রীবাহী বিমান দূর্ঘটনায় পড়েনি। এভিয়েশান সেফটি নেটওয়ার্কের সিইও হ্যারো রেন্টার বলেছেন, আগের চেয়ে এভিয়েশানে নিরাপত্তা এখন অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালের বিমান দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি বলছিলেন, প্রতি ২৫ লাখ ফ্লাইটে হয়তো একটি করে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
বিমানে উঠতে গেলে কি ভয়ে আপনার হাতের তালু ঘামতে থাকে? বিমান টেক অফ করার সময় আপনি চেয়ারের হাতল শক্ত করে দু'হাতে আঁকড়ে ধরেন? ল্যান্ড করার আগে-আগে আপনার হৃৎকম্প বেড়ে যায়?
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
তিন দশকের বেশী সময়ব্যাপী ময়নাতদন্তের অস্ত্রোপচার করছেন রিচার্ড শেফার্ড ৯/১১ তে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলায় নিহতদের থেকে শুরু করে ২০০৫ এর লন্ডন হামলার শিকাররা, ১৯৯৩ সালে খুন হওয়া সাড়া জাগানো স্টিফেন লরেন্স থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়ানা'র মৃতদেহ - ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। দীর্ঘদিন যাবত এই কাজ করার ফলে দেখা দিয়েছে নানা ধরণের মানসিক জটিলতা। ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট পেশা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যকে কতটা প্রভাবিত করেছে তা প্রকাশ করতে বিবিসি'র ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার অনুষ্ঠানকে রিচার্ড শেফার্ড বলেন, "এক জায়গায় ২০০টি টুকরো টুকরো, ক্ষতবিক্ষত প্রাণহীন দেহ আপনার মনে একটি ছাপ রেখে যায়"। "মৃত্যুর সাথে আমি খুবই পরিচিত, গত ৩৫ বছর ধরেই মৃত্যুর সাথে আমার পরিচয় - কিন্তু এর মধ্যে এমন একটা সময় আসে যখন এটিকে দৈনন্দিন জীবন থেকে আলাদা করা সম্ভব হয় না"। মানসিক সমস্যার সূত্রপাত ডা. শেফার্ডে'র অনুমান অনুযায়ী তাঁর ক্যারিয়ারে ২৩ হাজারেরও বেশী পোস্ট মর্টেম করেছেন তিনি। এর মধ্যে অনেক দেহই ছিল গত কয়েক দশকে সংঘটিত হওয়া বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়া মানুষের মরদেহ। দীর্ঘদিন এই পেশায় থাকার কারণে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) ভুগতে হয়েছে তাঁকে। ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে থাকা অবস্থায়, তাঁর বয়স যখন ষাটের কোঠায়, এই সমস্যা শনাক্ত করতে সক্ষম হন তিনি। পানীয়ের গ্লাসে বরফের উপস্থিতি তাঁকে তাঁর মানসিক সমস্যা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বোমা হামলায় নিহতদের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন ড. শেফার্ড। সেসময় বরফ না থাকায় মৃতদেহগুলো শীতল রাখা সম্ভব হয়নি। সেসময় মানসিক সমস্যার সূত্রপাত হলেও ড. শেফার্ড মনে করেন এর গোড়াপত্তন হয় আরো বছর দশেক আগেই। অটপ্সির সময় এই ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকেন চিকিৎসকরা 'উদ্ভট এবং অস্বস্তিকর' "হাঙ্গারফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর মানসিক অস্থিরতার প্রথম ইঙ্গিতটা পাওয়া যায়," বলেন ড. শেফার্ড। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের হাঙ্গারফোর্ড এলাকায় বন্দুকধারী মাইকেল রায়ান নিজেকে হত্যা করার আগে ১৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ড. শেফার্ডের প্রথম বড় কেস ছিল সেটি। "ঐ ঘটনাটি খুবই উদ্ভট ও অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি তৈরি করেছিল আমার ভেতরে। যা পরবর্তীতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করে," বলেন ড. শেফার্ড। তাঁর নতুন বইয়ে ডা. শেফার্ড লিখেছেন যে একসময় চোখ বন্ধ করতেও অস্বস্তি বোধ করতেন তিনি, কারণ তাঁর মনে হতো চোখ বন্ধ করলে রক্তাক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাঁর চিন্তাকে গ্রাস করবে। "পরিপাকতন্ত্র, স্যাঁতস্যাঁতে যকৃত, স্পন্দনহীন হৃদয়, ছিন্ন হাত, দম আটকানো রক্তের গন্ধ প্রতিনিয়ত আমার শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা দিতো"। তিনি বলেন, "মাঝেমধ্যে আমার মনে হতো এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মনে হয় মৃত্যুই ভালো"। তবে পোস্ট-মর্টেম বা ময়নাতদন্ত যে কোনো নির্দয় বিষয় নয় তা'ও মনে করিয়ে দেন তিনি। "মানুষের মধ্যে ভুল ধারণাটা কেন তৈরি হয়েছে তা আমি বুঝি। কিন্তু এটিও একটি জটিল অস্ত্রোপচার আর এর ফলে মৃতদেহগুলো দেখতে কদর্য হয়ে যায় না"। পেশাগত নৈতিকতা ড. শেফার্ড বলেন ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে মূল কাজটিই হলো সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করা। "সত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - আমি এই নীতিতে বিশ্বাসী," বলেন ড. শেফার্ড। "আমি মৃতের পরিবারকে সবচেয়ে নিখুঁত তথ্য জানানোর চেষ্টা করি"। ড. শেফার্ড জানান, মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশী যে প্রশ্নের সম্মুখীন তিনি হয়ে থাকেন তা হলো, "মৃত্যুর সময় কী সে ব্যথা অনুভব করেছিল?" ড. শেফার্ড বলেন, "এই প্রশ্নের উত্তরে পরিবারের সদস্যরা যতই আঘাত পাক না কেন, আমি সাধারণত সত্যটাই বলে থাকি"। আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা কেন বড় বড় সংবাদপত্র কিনছে ডাকসু নির্বাচন কি আসলেই করতে চায় কর্তৃপক্ষ? চট্টগ্রামের দরজা খুলছে, কী লাভ উত্তর-পূর্ব ভারতের?
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কিছু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ডা. রিচার্ড শেফার্ড।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইয়েতির পায়ের ছাপ পাওয়ার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী টুইটারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফলোয়ার আছে প্রায় ষাট লাখ। সেই টুইটারেই এক বার্তায় সোমবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে তারা 'পৌরাণিক জন্তু ইয়েতির রহস্যজনক পায়ের ছাপ' আবিষ্কার করেছেন হিমালয় অঞ্চলে মাকালু বেজক্যাম্পে। ইয়েতি, রহস্যময় হিসেবে বর্ণিত এমন একটি প্রাণী, দক্ষিণ এশিয়ার ফোকলোরে যার উল্লেখ প্রায়ই দেখা যায়। ইয়েতির অস্তিত্বের বিষয়ে অবশ্য কোনো প্রমাণ নেই, কিন্তু যে মিথ প্রচলিত আছে ইয়েতিকে নিয়ে তা এ অঞ্চলে অত্যন্ত শক্তিশালী। এখন ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে সেই 'ইয়েতির পায়ের ছাপে'র ছবি শেয়ার করছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বরফে বড় আকারের পায়ের ছাপ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পর্বতারোহী একটি দল এর আবিষ্কারক। যদিও কথিত পায়ের ছাপটি আবিষ্কৃত হয়েছে গত ৯ই এপ্রিল, কিন্তু তা প্রকাশ করা হয়েছে পরে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে যেতে বিএনপি'র হঠাৎ সিদ্ধান্ত কেন পুলিশের ওপর ককটেল হামলার দায় স্বীকার 'আইএসের' জার্সি বিতর্ক: 'আইসিসির জন্যই লাল বাদ দিতে হয়েছে' বাংলাদেশের রাজধানী কি ঢাকার বাইরে নিতে হবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা নানা অবিশ্বাসের প্রতিক্রিয়ায় সেনাবাহিনী অবশ্য বলেছে, ইয়েতির বিষয়ে যে প্রমাণ পাওয়া গেছে সেটির ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দেয়া হয়েছিলো। ইয়েতি, যা অনেকের কাছে তুষার মানব হিসেবেও পরিচিত, সেই দানব আকৃতির সৃষ্টি হিমালয়ের উপর স্তরে বাস করে বলে বিশ্বাস অনেকের। সামজিক মাধ্যমে হাস্যরস নেপাল, ভুটান এবং ভারতে ইয়েতি বা ইয়েতির পায়ের ছাপ নিয়ে অনেক গল্পও প্রচলিত রয়েছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবির পর এ নিয়ে ব্যাপক হাস্যরস শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডেভেন সেইলর নামে একজন টুইট করে বলেছেন ,"এমন হাস্যকর কিছু এভাবে প্রকাশের আগে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিলো"। হরিত নামের একজন লিখেছেন, "চরম হতাশাজনক বিষয় যে আর্মি এক ধরণের বোকামি মিথ বাস্তবে প্রচার করছে। তোমাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করি"। অঙ্কিত পাণ্ডা লিখেছেন, "হয় আমি জোকসটা মিস করেছি। না হলে ভারতীয় আর্মি ইয়েতির প্রমাণ হিসেবে যা বিশ্বাস করে তাই দাবি করেছে"। কনিষ্ক সামোতা লিখেছেন, "এবং আমি বড় পায়ের ছাপ চিহ্নিত করেছি সিঙ্গাপুরে গত রবিবার। কি কাকতালীয় ব্যাপার"। সাথে তিনি দিয়েছেন একজনের পায়ের ছাপ ও জুতাসহ পায়ের ছবি। আসিফি কারজিকার একটি বড় আকারের মুখোশ পড়া একটি ছবি দিয়ে বলেছেন, 'সে ভোট দেয়ার জন্য শহরে প্রবেশ করেছে'। আবার টুইটারে ভারতীয় বাহিনী যে পোস্ট দিয়েছে তার নিচে একজন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, "এখন সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা উচিত"। হারা নামের একজন লিখেছেন, "সম্ভবত তারা র‍্যাম্প মডেল ফ্যাশন শোতে হাঁটছিলো ... একজনের পা আরেকজনের সামনে"। ইয়েতি রহস্য উদঘাটনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১১ সালে 'ইয়েতির আঙ্গুল'-এর ডিএনএ নেপাল থেকে লন্ডনে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরে জানা যায় সেটি আসলে মানুষের হাড়। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ডের একজন গবেষক ইয়েতির চুলের ওপর গবেষণা করে প্রমাণ পান যে এটা আসলে শ্বেত ভল্লুকের (পোলার বিয়ার) চুল ছিলো।
ভারতের সেনাবাহিনী ইয়েতির পায়ের ছাপ পাওয়ার যে দাবি করেছে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক হাস্যরস - এমনকি নানা ধরণের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করা হচ্ছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঘাস চাষ শিখতে ৩২ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে তুমুল হাস্যরস হচ্ছে সারাদেশে এ প্রকল্পের আওতায় ৩২ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে - যা নিয়ে তুমুল হাস্যপরিহাস চলছে সারাদেশে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও মঙ্গলবার একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যয় কমাতে ও শুধুমাত্র সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণে পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উন্নত প্রাণী সম্পদের জন্য সুপরিচিত জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে যাবেন কর্মকর্তারা মূলত উন্নত জাতের প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাস চাষের কৌশল, সংরক্ষণ ও প্রযুক্তি দেখা এবং এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য। অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান বলছেন', এটি ঘাস চাষ দেখা বা শেখার প্রকল্প নয় বরং এটি হলো দেশের গবাদি পশুর জন্য উন্নত জাতের ঘাসের ব্যবস্থা করা যাতে করে দানাদার খাদ্যের ওপর চাপ কমানো যায়। মিস্টার রহমান বলছেন, দেশের গোচারণভূমি কমে যাচ্ছে আবার স্থানীয় জাতের ঘাস যথেষ্ট পুষ্টিমান নয় বলেই বিদেশে উন্নত জাতের প্রোটিন-সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল যেসব ঘাস আছে সেগুলো বাংলাদেশে আনতে হবে। "বাংলাদেশের দূর্বা ঘাস ছয় মাসেও এক ফিট বাড়েনা। অথচ দেখুন ন্যাপিয়ার ঘাস ৪১ দিনে পাঁচ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। এখন এগুলো তো আনতে হবে বাংলাদেশে। আর আনা মানে তো জানতে হবে যে বীজ আনার পর কিভাবে হবে এগুলো, প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও আধুনিক যন্ত্রপাতির বিষয় আছে। এবং এর সংরক্ষণ সম্পর্কেও জানতে হবে"- বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। মিস্টার রহমান বলেন, লাল ন্যাপিয়ার জাতের ঘাসের ফুড ভ্যালু আরও বেশি। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ সহ কয়েকটি এলাকায় অনেক কৃষক ন্যাপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করছেন কিছুদিন যাবত। আজিজুর রহমান বলছেন, অনেকে ধান চাষের বদলে এই ধরণের উচ্চ ফলনশীল ঘাস চাষ করছেন অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য। "সীমিত জায়গায় বেশি ফলনশীল ও প্রোটিনযুক্ত ঘাস সারাদেশে সহজলভ্য করার চিন্তা থেকেই এ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঘাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যে সেতু চেনা যে একুশটি গাছ-পাতা-ফুল-ফলের রয়েছে রোগ সারানোর ক্ষমতা পাঁচটি কলাগাছকে কেন বাঁচাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা? বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত দ্বীপে কেমন মানুষের জীবন? বাংলাদেশে অর্গানিক গরুর চাহিদা কেন বাড়ছে? প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাস চাষ শিখতে জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে যাবেন কর্মকর্তারা কিন্তু প্রকল্পটি শুধু ঘাস চাষ দেখতে বিদেশে যাওয়ার জন্য? কর্মকর্তারা বলছেন এটি ঠিক যে এসব প্রকল্পে অনেক সময় অযাচিত ভাবে উঁচু পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার নাম ঢোকানো হয় যারা মাঠ পর্যায়ে এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেননা। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে ব্যয় কমিয়ে শুধু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য যেতে পারেন - সেটি নিশ্চিত করতে। আজিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, মূলত উন্নত জাতের ঘাস চাষ ও সংরক্ষণের কলাকৌশল যারা শিখে আসবেন - তারা দেশে এসে সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করবেন। আবার ব্যাপক ফলন হলে সংরক্ষণ কিভাবে করা হবে সে প্রশ্নও দেখা হবে। তাই এ সম্পর্কেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে কিভাবে কাজ করা হয় সেটি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করবেন কর্মকর্তারা। "শুধুমাত্র ঘাস চাষ শেখার প্রকল্প বলে প্রচার করা হচ্ছে যা মোটেও ঠিক হচ্ছেনা। এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দেশের কৃষি ও গবাদি পশুর জন্য," বলছেন মিস্টার রহমান। কী আছে এই প্রকল্পে? প্রকল্পটি প্রণয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থনীতি শাখার কর্মকর্তা নন্দদুলাল টিকাদার। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছেন, প্রকল্প প্রণয়নের সময় তারা সারাদেশে দ্রুততম সময়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ উন্নত জাতের উচ্চফলনশীল ঘাস ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় যেসব কাজ হবে সেগুলো হলো: •প্রকল্পের আওতায় উন্নত জাতের ঘাসের জার্মপ্লাজম নার্সারি স্থাপন •সারাদেশে মোট আটটি খামারে ১৫৫ একর জায়গায় নার্সারিগুলো স্থাপন করা হবে •ঘাস চাষের জন্য সারা দেশে ৯ হাজার জন খামারি ৯০০ একর জমিতে উন্নত জাতের ঘাসের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করবেন •সারাদেশ ২৭ হাজার প্রযুক্তি প্রদর্শন প্লট হবে •অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাসের বীজ বিতরণ হবে ১৮ হাজার কেজি •৪৭৫টি উপজেলায় একজন করে কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে যাদের প্রকল্প চলাকালীন সময়ে ভাতা দেয়া হবে •নয় হাজার জন খামারিকে প্রশিক্ষণ হবে •খামারিদের ভিটামিন মিনারেল ও কৃমিনাশক সরবরাহ করা হবে •কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন সাভার ডেইরি ফার্মে লজিস্টিক সাপোর্ট- ট্রাক্টর, হার্ভেস্টরর, হাইড্রোলিক ট্রলি, ডিপ টিউবওয়েল সরবরাহ করা হবে •প্রকল্প কর্মকর্তাদের বেতন, যানবাহনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাটি নিশ্চিত করা হবে •অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও জার্মানিতে ঘাস চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি •খামার পর্যায়ে প্রাণী পুষ্টি উন্নয়ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও দুর্যোগকালীন গো-খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সাইলেজ প্রযুক্তি গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ নন্দদুলাল টিকাদার বিবিসি বাংলাকে বলছেন একনেকে যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করে শিগগিরই বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। "ব্যয় কমাতে ও বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে যেসব নির্দেশনা আসবে সেগুলো নিশ্চয়ই নিশ্চিত করা হবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কালে। তবে এটি নিশ্চিত যে প্রকল্পটি আমাদের কৃষি ও গো সম্পদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে," বলছিলেন তিনি। ঠিক মতো শুরু হলে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এটি শেষ হবে এবং দেশে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ঘাস সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী 'প্রাণী পুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর' শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
চিকিৎসকের জন্য নির্দিষ্ট ফেসমাস্ক বা শ্বাস নিতে পারা যায় এমন শক্তভাবে আঁটা মুখের ঢাকা স্বাস্থ্যকর্মী এবং বৃদ্ধ নিবাসে যারা বয়স্ক ও অসুস্থদের দেখাশোনা করে তাদের জন্য রাখার কথা বলা হচ্ছে। অনেক দেশেই ফেসমাস্ক না পরলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক অফিস, আদালত, বিপনীবিতানে ফেসমাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেয়া হয় না। আপনি নিজেই ঘরে বসে আপনার নিজের জন্য এই মাস্ক বানানোর চেষ্টা করতে পারেন। ফেস মাস্ক পরলে চশমা ঘোলা হচ্ছে? কাটাবেন কীভাবে? নিজের মাস্ক বানান বিভিন্নধরনের মাস্ক কীভাবে বানানো যায় ধাপে ধাপে তা দেখানো হয়েছে এখানে। যদি সেলাই মেশিন আপনি চালাতে পারেন তাহলে টি- শার্ট কেটে বানাতে পারেন মাস্ক, কিংবা চটজলদি বানাতে চাইলে সে পদ্ধতিও রয়েছে। মূল বিষয়টা সবক্ষেত্রেই এক। কাপড় যদি কয়েক পরতে দেয়া যায়, তাহলে আরও ভাল। মাস্ক আপনার নাকমুখ শক্ত করে যাতে ঢেকে রাখে সেটা দেখতে হবে, সেইসাথে দেখতে হবে আপনি স্বচ্ছন্দে নি:শ্বাস নিতে পারছেন কি না। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে এর জন্য সবচেয়ে ভাল কাপড় হল আঁটো বুনুনির সূতির কাপড়, প্রাকৃতিক রেশম বা সিল্কের কাপড় অথবা কুইলটেড সূতির কাপড়। যদি এধরনের কাপড় না থাকে, ঘরে যা আছে তা দিয়েও আপনি এই মাস্ক বানাতে পারবেন। সহজটা দিয়েই শুরু করা যাক। ফেস মাস্ক পরার আগে এবং খোলার পরে ভাল করে হাত ধুতে ভুলবেন না। এছাড়াও অন্য পরামর্শগুলোর কথা মনে রাখবেন: এর পরের মাস্কটি তৈরি করা হচ্ছে পুরনো টি শার্ট ব্যবহার করে। সূতির কাপড় বা সূতি ও পলিয়েস্টার মেশানো কাপড় দিয়ে এটা বানাতে পারেন। এখানেও কোন সেলাইয়ের প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু বিজ্ঞানী এবং ব্রিটিশ সরকারের মত হল ঘরে তৈরি মাস্ক আপনাকে যে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচাবে তা নয়, তবে আপনি মাস্ক পরলে, আপনার যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে, আপনার কাছ থেকে আরেকজন সংক্রমিত হবে না। অনেক সময় মানুষের শরীরে জীবাণু থাকলেও অনেকের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। আপনার যদি করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন অনেক জ্বর, একটানা কাশি, তাহলে ঘরের বাইরে যাবেন না। নিজেকে আইসোলেট বা বিচ্ছিন্ন রাখুন। যেধরনের ফেস মাস্কই আপনি ব্যবহার করুন না কেন, লকডাউনের অন্যান্য বিবিধনিষেধ পাশাপাশি মেনে চলতে হবে। ঘনঘন হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই। হাত সবসময় পরিস্কার রাখুন। বাসায় ঢোকার পর সাবান দিয়ে অন্তত বিশ সেকেন্ড ধরে ভাল করে হাত ধোবেন। আমাদের তৃতীয় মাস্ক বানানোর পদ্ধতিতে একটু সেলাই জানার প্রয়োজন আছে। অনেকের কাছে এই সেলাই সহজ মনে হতে পারে, অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন এটা একটু জটিল। বড় কথা হলো সেলাইটা এমনভাবে করতে হবে যাতে মাস্ক খুলে না পড়ে এবং কয়েকবার কাচার পরও তা টেকসই হয়। এছাড়াও মাস্ক বানানোর আরও অনেক উপায় আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেশাদার মাস্ক বানানোর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। নিজের হাতে বানাতে বসে যান আপনার নিজের মাস্ক। হয়ত মজাই লাগবে বানাতে। তবে মনে রাখবেন একটার বেশি বানাতে হবে। কারণ একটা মাস্ক ব্যবহারের পর কাচতে দিলে হাতের কাছে আরেকটা তো লাগবে। একটা সতর্কতা- দুবছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফেস মাস্ক পরাবেন না। যারা কোনরকম অসুস্থতা বা অসুবিধার কারণে ঠিকমত মাস্ক পরতে পারছেন না, তাদেরও মাস্ক না পরাই ভাল। বিবিসির ভিসুয়াল জার্নালিজম টিমের সাংবাদিকরা এই প্রত্যেকটা মাস্ক বানিয়েছেন। গ্রাফিক্স : আইরিন ডে লা টোরে-আরিনাস করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
অনেক দেশেই লকডাউন তুলে নেয়ার শর্ত হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ফেসমাস্ক পরা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইতালির উত্তরাঞ্চলের মানুষ করোনভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখনও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে একশ জন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালের পর্যাপ্ত বিছানার ব্যবস্থা করতে রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা। যুদ্ধ বিগ্রহ ছাড়া কোন দেশের এমন পরিস্থিতি ভাবা যায় না। উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডিয়া অঞ্চলের বার্গামো শহরের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের প্রধান ডা. ক্রিশ্চিয়ান সালারোলি ক্যুরিয়েরে ডেলা সেরা নামে এক সংবাদপত্রকে তার হাসপাতালের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, "৮০ থেকে ৯৫ বছর বয়সের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি ভীষণ শ্বাসকষ্টে ভোগেন তবে আপনি চিকিৎসার জন্য এগিয়ে যেতে চাইবেন না।" "এগুলো ভয়াবহ কথা, তবে আফসোসের বিষয় যে এটি সত্যি ।" কাকে বাঁচাতে কতটা চেষ্টা করবেন - ইটালিতে চিকিৎসকরা এখন সেই কঠিন নৈতিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: ভাইরাস রোধে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কী নিতে পারে সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর ইতালিতে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। 'বেছে নেয়ার কঠিন প্রক্রিয়া' করোনাভাইরাসে ইটালিতে শুক্রবার পর্যন্ত ১৭,৬৬০ সংক্রমিত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১,২৬৮ জন, যেটা চিনে মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যার দিক থেকে জাপানের পর বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইটালি। যার অর্থ যদি ভাইরাসটি ঐ বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমিত হয় তাহলে তারা মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকবেন। এই মাসের শুরুতে, ইটালিয়ান সোসাইটি অব অ্যানাস্থেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া, পুনর্বাসন ও ইন্টেনসিভ থেরাপি (এসআইএএআরটিআই) কিছু নৈতিক সুপারিশ প্রকাশ করেছে। সেখানে ডাক্তারদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বিশেষ পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র কাদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য শয্যা দেয়া হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়, প্রয়োজন হলেও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে প্রত্যেকের জন্য জায়গা থাকবে না। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রোগীদের ভর্তি করার পরিবর্তে, চিকিৎসক ও নার্সদের এক কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নিবিড় চিকিৎসায় যাদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি সেই রোগীদের প্রতি মনোনিবেশ করার কথা বলা হয়েছে। এসআইএএআরটিআই বলছে - 'কিছু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া এবং অন্যদের জন্য চিকিৎসা সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব তারা দেয়নি। অপর দিকে, এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি যেখানে চিকিৎসকদের বাধ্য করা হচ্ছে তারা যেন চিকিৎসার উপযোগিতার দিকে মনোযোগ দেন। তাদেরকেই চিকিৎসা দেন যাদের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।' উত্তর ইতালির হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। 'সুনামি' ইতালিতে প্রায় ৫,২০০টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ শয্যা রয়েছে। কিন্তু শীতকাল হওয়ায় এর মধ্যে অনেক রোগী শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে ওই শয্যাগুলোয় ভর্তি আছেন। লম্বার্ডি এবং ভেনেটোর মতো উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোয় বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাত্র ১৮০০টি শয্যা রয়েছে। লম্বার্ডির একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ স্টেফানো ম্যাগনান বিবিসিকে বলেন, তারা তাদের সক্ষমতা শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। "দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, কারণ আমরা করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য আইসিইউ শয্যার সংখ্যা, পাশাপাশি সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর সক্ষমতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি।" "আমাদের প্রদেশে, জনবল ও প্রযুক্তি দুটি সম্পদ সম্পূর্ণভাবে ফুরিয়ে গেছে, আমরা এখন কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের নতুন যন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছি।" এই সপ্তাহের শুরুতে, বার্গামোর আইসিইউ চিকিতৎসক ডা. ড্যানিয়েলে ম্যাশিনির একটি সাক্ষ্য টুইটারে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বর্ণনা করেন যে কীভাবে তাঁর দল রোগীদের 'সুনামিতে' ডুবে গিয়েছিল এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম যেমন ভেন্টিলেটর কতটা মূল্যবান হয়ে উঠেছিল। তার কথায় অনেকটা "স্বর্ণের মতো"। "আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই একটি কারণে আমাদের এখানে প্রতিদিন ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি হতে আসছেন। মুখের লালা পরীক্ষার ফলাফল আসছে একের পর এক। সবই পজিটিভ, পজিটিভ, পজিটিভি। হঠাৎ জরুরি বিভাগ যেন মানুষের ভিড়ে ভেঙে পড়ছে, " তিনি বলেন। "আমাদের কিছু সহকর্মী যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত, তারা তাদের স্বজনদের সংক্রমিত করেছেন। এবং তাদের কয়েকজন আত্মীয় ইতিমধ্যে জীবন এবং মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।" ডাঃ সালারোলি, ক্যুরিয়েরে পত্রিকাকে বলেছেন যে, চিকিৎসা কর্মীদের উপর যে আবেগের বোঝা চাপানো হয়েছে এর প্রভাবে তারা ভেঙ্গে পড়েছেন। তার দলের কিছু চিকিৎসক, যাদেরকে রোগী বেছে নেয়ার এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তারা "চূর্ণ-বিচূর্ণ" হয়ে গেছেন। "একজন প্রধান চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন তরুণ চিকিৎসক যিনি সবেমাত্র যোগ দিয়েছেন, তাকেও এমন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে। তিনি এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন যে তাকে একজন মানুষের ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এটি ব্যাপক হারে হচ্ছে, আবারও বলছি।," তিনি বলেন। "আমি ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞ একজন নার্সকে কাঁদতে দেখেছি।" চিকিত্সা কর্মীরা বলছেন যে তারা বিশাল মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। বিবিসির সাথে কথা বলতে গিয়ে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি ডি মাইও, ইউরোপজুড়ে থাকা সমস্ত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামগ্রী ও সেবা সমন্বিত করার জন্য একটি একক ইউরোপীয় ইউনিট প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি আশার একটি কথাও বলেছেন যে উত্তর ইটালির দশটি শহরে- যেগুলোকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল- কোনও সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়নি। "ইটালি, ইউরোপের প্রথম দেশ যেটি এত গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছে," বলেন ডি মাইও। "তবে আমি আশা করি এটা এই অর্থও বহন করে যে ইটালিই সবার আগে জরুরি অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।"
ইটালিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসকরা বলছেন যে, এত রোগীর ভিড় যে কাদের তারা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন এবং কাদের ফেলে রাখবেন তা তাদেরকে বেছে নিতে হচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
অযোধ্যা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরযূ নদীর নতুন ঘাট অযোধ্যা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরযূ নদীর নতুন ঘাটে যখন গিয়েছিলাম, তখন বেলা প্রায় দুটো বাজে। বেশ রোদ রয়েছে। শীতের আমেজের মধ্যে হাল্কা রোদে ঘোরাঘুরি করছিল কয়েকজন অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে। তাদের দেখেই কথাটা মাথায় এসেছিল, এই যে ৬ ডিসেম্বর হলেই অযোধ্যায় প্রচুর মিডিয়া কর্মী ভিড় করে জমা হন - কীভাবে দেখে এই কিশোর - তরুণরা? আরো পড়ুন: ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? মেয়েকে আনতে গিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত দুদিন ধরে উধাও হাতে গোটাকয়েক খাতা নিয়ে কলেজ থেকে ফিরছিল সুধাংশু রঞ্জন মিশ্র। একটু হেসেই সে বলছিল, "আমার তো খেয়ালই ছিল না ৬ ডিসেম্বর তারিখটা।" সুধাংশু রঞ্জন মিশ্র সুধাংশু বি এস সি প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করে। ও অযোধ্যার সেই প্রজন্মের কিশোর, যাদের জন্ম হয়েছে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে। "মন্দির তো হওয়াই উচিত। কারণ ওই জায়গাটাতেই তো ভগবান রামচন্দ্র জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা বা গল্প আড্ডার সময়ে ওই বিষয়টা নিয়ে মোটেই আলোচনা করি না। শুধুমাত্র খবরের কাগজ বা টেলিভিশন চ্যানেলেই এ নিয়ে বিতর্ক দেখতে পাই," বলছিল সুধাংশু মিশ্র। মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে আইনি লড়াই, সে বিষয়েও সুধাংশু খুব একটা কিছু জানে না। শুধু জানে যে বছর পচিশের আগে করসেবকরা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছিল। সে অবশ্য এটা বোঝে যে বাইরের কিছু নেতাই এই সমস্যার সমাধান চান না। দেবেশ নামের আরেক ছাত্র বলছিল যে অযোধ্যার বাসিন্দা হয়েও সে কখনও রাম জন্মভূমি পরিসরে যায় নি। "রাম জন্মভূমি আমরা শুধু টিভিতেই দেখি। শুধু এটা জানি যে ওখানে রামলালা নাকি একটা তাঁবুর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। আর তাই নিয়েই এত ঝগড়া-বিবাদ," বলছিল কলেজ ছাত্র দেবেশ। সে অবশ্য এটা বোঝে যে এই বিবাদ সহমতের ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে মিটে যাবে। তার কথায়, "জমিটা তো অযোধ্যার। ঝগড়া হলে তো এখানকার হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই তো এখানে বেশ স্বচ্ছন্দেই আছি। বাকি দেশে হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছে। আমার তো মনে হয় এসব করে আসলে রাজনৈতিক রুটি সেঁকা হচ্ছে - সমাধান কেউই চায় না।" আঞ্চল যাদব নতুন ঘাটে ততক্ষণে আরও বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন মন্দির তৈরির স্বপক্ষে বেশ আবেগ তাড়িত হয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমি আলোচনাটা শুধুই কমবয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গেই করতে চাইছিলাম। তাই অন্যদের কথায় খুব একটা আগ্রহ দেখালাম না। আমি কথা বলতে এগিয়ে গিয়েছিলাম সাকেত কলেজের বি কমের ছাত্র রাকেশ মিশ্রর সঙ্গে কথা বলতে। সে বলছিল, "আমরা তো ছোটবেলা থেকেই মুসলমান ছেলেদের সঙ্গে পড়াশোনা করি, মিলে মিশে থাকি। কখনই লড়াই ঝগড়া হয় নি তো! মন্দির-মসজিদের কথাও ওঠে ঠিকই কিন্তু টিভি চ্যানেলের বিতর্কগুলোতে যেরকম গরমগরম আলোচনা হয়, সেরকম আলোচনা কখনই আমাদের মধ্যে হয় না।" নতুন ঘাটের কাছেই মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল এক কিশোরী। সে তার নাম বলল আঞ্চল যাদব। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। সটান বলে দিল, "আমাদের বাড়িতে তো মন্দির-মসজিদ নিয়ে সেরকম আলোচনাই হয় না। আর স্কুলে তো এ নিয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। মন্দির বা মসজিদ - যারা বানাতে চায়, এটা তাদের মাথাব্যথা, আমাদের নয়।" সে আরও বলছিল, "অযোধ্যায় তো একটা মন্দির নেই। অনেক মন্দির রয়েছে, মসজিদও আছে অনেক। জানি না কেন মানুষ এটা নিয়ে লড়াই করছে। একই জায়গায় মন্দির আর মসজিদ তৈরি হওয়া কঠিন। তবে আমাদের অযোধ্যার বেশীরভাগ লোকই মনে হয় ওখানে মন্দির হোক এটাই চায়।" ওখানেই আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল অযোধ্যা রেলস্টেশন লাগোয়া এলাকা কুটিয়া মহল্লার বাসিন্দা মুহম্মদ ইফতিয়ারের সঙ্গে। তার গায়ের হাতকাটা জ্যাকেটের ওপরে বড় বড় করে লেখা ছিল '১৯৯২'। জানতে চেয়েছিলাম কারণ। সে জবাব দিয়েছিল, "যখন মসজিদ ভাঙ্গা হল, তখন আমার বয়স ছিল এক সপ্তাহ। ৯২-তেই জন্ম আমার।" সে এম কম পড়ছে আর পরে গবেষণা করতে চায়। "তরুণ বা যুবকদের এই ব্যাপারটায় খুব একটা মাথাব্যথা নেই। আমার অনেক হিন্দু বন্ধু আছে, কই তাদের সঙ্গে তো এ নিয়ে কখনও ঝগড়া-বিবাদ হয় নি আমার! আর সবথেকে বড় কথা এখানে কখনও হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা হয় নি। যা হয়েছে, সেগুলো বহিরাগতরা এসে বাঁধিয়েছিল," বলছিল ইফতিয়ার। মুহম্মদ ইফতিয়ার পাশেই দাঁড়ানো মুহম্মদ আমিরের কথায়, "অযোধ্যার মানুষ জানে যে এর মধ্যে ফেঁসে গেলে নিজেদেরই ক্ষতি। ব্যবসা মার খাবে, দোকানদারী বন্ধ হয়ে যাবে, স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা কেন এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব? বাইরে থেকে এসে দাঙ্গা ফাসাদ বাধায় যারা, তারা তো নিজেদের ঘরে ফিরে যাবে, ক্ষতিটা তো আমাদের হবে।" আমির আরও বলছিল, এই সারকথাটা শুধু মুসলমানরা নয়, হিন্দুরাও খুব ভাল করে জানে আর বোঝে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সেই মুহূর্ত মৌনতা ভঙ্গাকারীরা টাইমের 'সেরা ব্যাক্তিত্ব' গুজরাটই কি হতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর ওয়াটারলু? নাস্তিকদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পুরো বিশ্ব
(সমীরাত্মজ মিশ্রের প্রতিবেদন, বিবিসি সংবাদদাতা, অযোধ্যা)
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সংবাদ সম্মেলনে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব জেলার মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহী ইত্যাদি। ঢাকায় সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এদিন স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় যে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে্। আর এই সময়ের মধ্যে ৪৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্যও জানান কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের বলেন যে গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংক্রমণের মাত্রা "খুব দ্রুত বাড়ছে"। তিনি বলেন, "মার্চের ১৩ তারিখে সংক্রমণের মাত্রা উচ্চ ছিল ৬টি জেলায়, ২০ তারিখে দেখা গেছে ২০টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। আর মার্চের ২৪ তারিখে দেখা গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উচ্চ এমন জেলার সংখ্যা ২৯টি।" "ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।" করোনাভাইরাস থেকে ঝুঁকির মাত্রা প্রতি সপ্তাহেই বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্য, রোগীর সংখ্যা, সংক্রমণের মাত্রা - এসবের ওপর ভিত্তি করে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করে অধিদপ্তর। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ দফা নতুন নির্দেশনা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন ও তার উত্তর করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে সংক্রমণের উচ্চ হার সামাল দিতে এখন স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, প্রতি জেলায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটি রয়েছে এবং এসব কমিটি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মিলে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এক সঙ্গে কাজ করবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার সরকার ১৮ দফা নতুন নির্দেশনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম সীমিত করা। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার মতে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এই ১৮ দফা 'স্ট্রিক্টলি' অর্থাৎ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এই ১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে সরকার উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনাও রয়েছে এর মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, যেসব জেলায় উচ্চ সংক্রমণ রয়েছে, প্রয়োজনে সেসব জেলার সঙ্গে আন্তঃজেলা যোগাযোগও সীমিত করা হতে পারে। তবে সেটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন জেলার পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া, প্রয়োজন হলে স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপ করা হতে পারে, তবে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট জেলা তাদের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে। কর্মকর্তারা জানান, সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আরটিপিসিআরের পাশাপাশি এখন হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। "প্রয়োজন হলে পরীক্ষার ক্যাপাসিটি আরও বাড়ানো হবে। নমুনা সংগ্রহের যেসব বুথ বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোও খুলে দেওয়া হবে, প্রয়োজন হলে," বলেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সরকার বলছে, করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা দিতে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে তবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সরকারের সবচেয়ে বড় যে অস্ত্র, সেই টিকার ঘাটতি নিয়ে আলোচনা আছে। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বীকার করেন যে যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেবার মতো টিকার মজুদ বর্তমানে দেশে নেই। "এই মুহূর্তে সরকারের হাতে ৪২ লক্ষ টিকা মজুদ আছে। আর এপ্রিল মাসে কিছু টিকার চালান আসবে বলে সরকার আশা করছে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নির্ধারিত সময়ে দেয়ার জন্য।" সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে হাসপাতালগুলোতে ক্রমে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চেষ্টা করছে যে কোভিড-ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা আরও বাড়ানোর। তবে রোগীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, নিজ নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, "ঢাকার বাইরে থেকে রোগীরা ঢাকায় চলে আসেন, যে কারণে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ে। আর এতে রোগীরও অসুবিধা হয়, মানে ঢাকায় আনতে আনতে হয়ত তার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।" প্রত্যেক জেলার হাসপাতালে অক্সিজেনের সুবিধা এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত রয়েছে বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে' বলছে প্রশাসন ফেসবুক কবে খুলবে তা 'বলা যাচ্ছে না' - বিটিআরসি ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন চালু, কী উপকার হবে
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং এই মুহূর্তে অন্তত ২৯টি জেলা করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। প্রতীকী ছবি। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় গ্রেফতার ওই নিরাময় কেন্দ্রের মালিকসহ তিনজনকে আজ বৃহষ্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছে। ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর ঘটনাটি নভেম্বর মাসের ২০ তারিখের, কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। ভিডিওটি জব্দ করেছে পুলিশ এবং সমর্পণ নামের পুনর্বাসন কেন্দ্রটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আট নয়জন মিলে হাত পা বেঁধে এক তরুণকে মারধর করছে, টানা হেঁচড়া করছে। সেখানে নোংরা পরিবেশে মারাত্মক গাদাগাদি করে রাখা বিছানা। এই ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোর কাজের পদ্ধতি নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো আবারও সামনে এসেছে। নিরাময় কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা নিরাময় কেন্দ্রে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা বলে মোটামুটি একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করতে চাননি এমন একজন বলছেন, "আমার পরিবার আমাকে বলে নিয়ে যায়নি যে ওখানে ভর্তি করা হবে।" "প্রথম দিন শরীরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তখন ওরা আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলো। পরদিন সকালে উঠে যখন আমি আবিষ্কার করলাম যে এখানে আমি আটকা পড়ে যাচ্ছি, তখন আমি কিছুটা ভায়োলেন্ট হয়ে গিয়েছিলাম। সেই পর্যায়ে গিয়ে আমাকে মারধর করা হয়েছিলো।" তিনি আরও বলছেন, "এসব কেন্দ্রে যে ভর্তি হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়া হয়। প্রথম কিছুদিন বাবা মা-আত্মীয় স্বজন কাউকে যেতে দেয়া হয় না। টানা বন্দী রাখা হয়, তখন ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সে ভেঙে যায়।" সেসময় আরও বিষাদগ্রস্ত অবস্থায় তিনি ঔষধ খেতে যখন রাজি হচ্ছিলেন না তখন তাকে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছিলো বিছানার সাথে। এরকম অভিজ্ঞতার কথা প্রায় সবাই বলেছেন। অনেকেই এখন ইয়াবায় আসক্ত বিষাদগ্রস্ত ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ভর্তি করা হয়েছিলো ঢাকার বিলাসবহুল একটি নিরাময় কেন্দ্রে। তিনি জানান, মানসিক চিকিৎসার জন্য যে নিরাময় কেন্দ্রটিতে তিনি ছিলেন সেটি রীতিমতো পাঁচ তারা হোটেলের মতো। সেখানেই তিনি পরিচিত হন এমন কয়েকজনের সাথে যাদের মাধ্যমেই তার নেশা-দ্রব্যের সাথে পরিচয় হয়। তিনি বলছেন, "কোন শারীরিক অ্যাক্টিভিটিজ ছিল না। আমাকে কিছু ওষুধ দিয়ে রেখে দিতো। তখন আমার কোন কিছুতে আসক্তি ছিল না। শুধু ডিপ্রেশন ছিল। আমি বিশ দিনের মাথায় সেখান থেকে বের হয়ে যাই। যেটা হয়েছিলো সেখানেই আমি আমার সোর্স খুঁজে পেয়েছিলাম। ড্রাগস রিলেটেড কিছু দরজা আমরা সামনে খুলে গিয়েছিলো অন্য যারা ভর্তি ছিল তাদের মাধ্যমে।" আরো পড়ুন: ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন খেলে কী হয় 'ক্রিস্টাল মেথ বা আইস' শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর? মাদক নিয়ন্ত্রণ: সরকারি পদক্ষেপ কি কাজে লাগছেনা? মাদকের থাবায় ধ্বংসের মুখে যে মুসলিম অঞ্চল এরপর তিনি ইয়াবা ও গাজায় আসক্ত হয়ে যান। তিনি বলছেন, এর কারণ হল সেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মানসিক রোগীদের একসাথে রাখা হয় যা আরও অনেক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেন্দ্রগুলোর নাম শুনলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এই তরুণী বলছেন, "এর পরে আমাকে আবার জোর করে রিহ্যাবে ভর্তি করা হয়। সেখানে আমার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ ছিল যে স্মৃতি আমাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।" চিকিৎসা মানতে না পারায় পালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ইয়াবাআসক্ত ঢাকার আরেক তরুণ। মাদকাসক্তের সংখ্যা কতো জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে প্রায় ৩৬ লাখের মতো মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, লাইসেন্স প্রাপ্ত ৩২২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে সারা দেশে। চারটি রয়েছে সরকারি। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলে আসছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেখালা সরকার তাদের একজন। তিনি বলছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় দুটি ভিন্ন বিষয়। "এটা স্বাস্থ্যগত ব্যাপার। এটাকে ব্রেইন ডিজঅর্ডার বলছি আমরা। যখন মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে একজন ব্যক্তি তখন কিন্তু এটাকে অপরাধ হিসেবে আমরা ধরছি না। মাদকাসক্তির কারণে যখন সে অসুস্থ হয় তখন এটা অবশ্যই স্বাস্থ্য সমস্যা।" এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকা উচিৎ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। অথবা দুটি মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ হতে পারে বলেও তিনি জানান। তিনি বলছেন, "একটি আদর্শ নিরাময় কেন্দ্রে প্রয়োজনমত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট বা মনস্তত্ববিদ এবং কাউন্সেলিং এর জন্য থেরাপিস্ট থাকতে হবে। ২৪ ঘণ্টা এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক উপস্থিতি থাকতে হবে। বাইরে খোলামেলা জায়গা থাকতে হবে।" আরো পড়ুন: মাদক বিরোধী অভিযানে পাচারের বিরুদ্ধে কতটা নজর দেয়া হচ্ছে? বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তি বাড়ছে কেন? কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত কিনা দেশে প্রায় ৩৬ লাখের মতো মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হল বেশিরভাগ কেন্দ্রকে অনেক সময় একটি ভবনের ভেতরে জেলখানার মতো মনে হয়। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকে না। সেবা দানকারীদের মধ্যে প্রায়শই মাদকাসক্তদের প্রতি অপরাধী হিসেবে আচরণ করার প্রবণতা রয়েছে। এসব কেন্দ্রের কার্যক্রম কতটা নিয়মনীতির মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে? মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন আহমেদ বলছেন, "তাদের লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, কেমন ডাক্তার থাকবে, কী ব্যবস্থা, কেমন পরিবেশ এই সব বিষয়ে। লাইসেন্স পেতে হলে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে।" তিনি বলছেন, লাইসেন্সবিহীন কোন নিরাময় কেন্দ্র পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। মারধরের যে অভিযোগ ওঠে সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "অবশ্যই এরকম অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা খুব গুরুত্বের সাথে দেখি। আমাদের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করে। তবে বাংলাদেশে নিরাময় কেন্দ্রের এই বিষয়টি কিন্তু বেশ নতুন।" তিনি বলছেন, বাংলাদেশে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোর পরিচালনার জন্য একটি বিধিমালা রয়েছে। নতুন করে একটি বিধিমালা তৈরিরও কাজ চলছে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্রে হাঙর ধরায় আগ্রহী কেন? ক্লাসে ফিরতে চান ঢাবি শিক্ষক রুশাদ ফরিদী মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের
বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর, তাকে হাত পা বেঁধে ওই কেন্দ্রে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং তার সমর্থকরা এক্সিট পোলে মি. জেলেনেস্কি ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। এর তিন সপ্তাহ আগে প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটিতে যেখানে ৩৯জন প্রার্থী ছিল, সেখানেও মি. জেলেনস্কি বেশ এগিয়ে ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো তার পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তবে, রাজধানী কিয়েভে জড়ো হওয়া তার ভক্ত-সমর্থকদেরকে জানিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন না। যদি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ফেরত মানুষদের এই জরিপ সত্যি হয় তাহলে মি. জেলেনেস্কি ৫ বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেদেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতির মতো সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতার অধিকারী। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশার বলছিলেন, ইউক্রেনের মানুষদের সামনে একদিকে ছিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আর অন্যদিকে ছিল রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা একজন কমেডিয়ান। কিন্তু এতো বিপুল মানুষ অনভিজ্ঞ জেলেনেস্কি বেছে নেওয়াটাকে পোরোশেঙ্কোর জন্য একটা অপমানকর ব্যাপার বলেই ব্যাখ্যা করেন জোনাহ ফিশার। মি. পোরোশেঙ্কো ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ। একটি রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রুশ-সমর্থক প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মি. পোরোশেঙ্কো। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংকট কতটা মারাত্মক? পরাজয় মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো কে এই ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ? ৪১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছিলেন 'সার্ভেন্ট অফ দি পিপল' বা 'জনতার খেদমতকারী' নামের একটি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেই নাটকে মি. জেলেনস্কি একজন শিক্ষক হিসাবে অভিনয় করেছিলেন, ঘটনাচক্রে যিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার সেই নাটকে রাজনৈতিক দলের যে নাম ছিল, সেই নামেই পরে তিনি দল গঠন করেন। পূর্বের রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও, কোন রাজনৈতিক নীতির কথা ঘোষণা না করে বরং মি. জেলেনস্কি অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। প্রথম পর্বে তিনি মি. পোরোশেঙ্কোর প্রায় দ্বিগুণ, ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মি. জেলেনস্কির অনানুষ্ঠানিক ভঙ্গি আর ইউক্রেনের রাজনীতিকে পরিষ্কার করার অঙ্গীকারের কারণে ভোটাররা তাকে বেছে নিয়েছে, যারা মি. পোরেশেঙ্কোর দেশ পরিচালনায় সন্তুষ্ট নন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা: সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে কোন কোন পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়? 'চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনার নানা খবর তদন্তে প্রভাব ফেলে' বাংলাদেশ থেকেই বেশি পর্যটক যায় ভারতে
এক্সিট পোল বা কেন্দ্র ফেরত ভোটারদের ওপর করা জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সেদেশের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কমিউনিটির মসজিদে নারীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন জাবিন আহমেদ রুহি। হাডসন ইসলামিক সেন্টারের নামে ২০০৭ সালে জমি কেনা হলেও, ভবন নির্মাণের তহবিল সংগ্রহ করতেই অনেক বছর লাগলো। স্থানীয় কর্মজীবী পরিবারগুলোর অনুদানে আর কয়েকটি কিস্তিতে ভবন নির্মাণের খরচ দেয়ার চুক্তিতে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। গত ২৯শে এপ্রিল রবিবার সকালে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে বক্তব্য পর্ব শেষ হলে দেড় মিলিয়ন ডলারের নির্মাণ পরিকল্পনার মসজিদের কাঠামো উন্মোচন করা হয়। কিন্তু পুরো আয়োজনে নারীদের কোন উপস্থিতি ছিল না, যারাও কিনা এই মসজিদের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছেন। শিশু মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত 'খুনী কুকুর' কোটা বাতিল: প্রজ্ঞাপন জারিতে বিলম্ব কি সরকারি কৌশল ভিত্তিপ্রস্তর আয়োজনে নারীদের কোন উপস্থিতি ছিল না, যারাও কিনা এই মসজিদের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রেখেছেন এই বিষয়টি ফেসবুকে তুলে ধরেন সেখানকার একজন মুসলিম নারী জাবিন আহমেদ রুহি। তিনি লিখেছেন, ''যদিও আমন্ত্রণ পত্রে লেখা ছিল, প্রিয় ভাই ও বোনেরা-কিন্তু পুরুষদের পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছিল যে, সমাবেশটি মেয়েদের জন্য নয়।" একে নারী আর তরুণী মেয়েদের জন্য বৈষম্যমূলক বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। রুহি লিখেছেন, ''ইসলাম সবার জন্যই, এই কমিউনিটির নারীরা যা আছে, তা সবসময়েই ইসলামিক সেন্টারের কাজে লাগিয়েছে, কিন্তু আমাদের মুসলিম ভাইরা কখনোই তাদের স্বাগত জানাননি।'' তবে স্বাগত জানানো হোক বা না হোক, নারীরা এই সেন্টারকে সহায়তা করে যাবেন বলেও তিনি জানান। ''কিন্তু আমি অন্তত নীরব থাকবো না,'' বলছেন রুহি। তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হয়েছে তীব্র। রুহি জানিয়েছেন, কমিউনিটিকে ব্যাঙ্গ করার আর মসজিদটি নির্মাণে বাধা তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অপমান করা হয়েছে এবং তার মার সঙ্গেও ঠাণ্ডা আচরণ করেছেন সহকর্মীরা। কিন্তু বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য নারীদের কাছ থেকে সমর্থনও পাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে হাডসন ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আবদুল হান্নান বলেছেন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মেয়েদের অনুপস্থিতির কারণ আসলে 'যোগাযোগের ভুল'। ''মসজিদ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বৈষম্য করা হয়না।'' মি. হান্নান বলেছেন, সেখানে নারীদের জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল না এবং নিরাপত্তার কারণে কমিউনিটির সব সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও শহরের যেসব কর্মকর্তারা সেখানে গিয়েছিলেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন নারীও রয়েছেন। ''এটা (অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা) যদি অমুসলিম নারীদের জন্য ঠিক হয়, তাহলে মুসলিম নারীদের জন্যও ঠিক হতো'' বলছেন রুহি। রুহি জানান, এই কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই প্রথম প্রজন্মের বাংলাদেশি অভিবাসী এবং তারা তাদের দেশের মতো করেই সেন্টারটি পরিচালনা করেন। ''এই কমিটিতে নারী এবং তরুণদের অংশগ্রহণের বিষয়টিতে তারা গুরুত্ব দিতে চান না'' রুহি বলছেন। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি তৈরিতে কাজ করে পরিচিতি পেয়েছেন জাবিন আহমেদ রুহি হাডসন ইসলামিক সেন্টারের বিধিমালা অনুযায়ী, সেখানকার কমিটির কোন পদে নারীরা নির্বাচন করতে পারেন না। এ কারণে ব্যবস্থাপনা পর্যদে কোন নারীর উপস্থিতি নেই। ফেসবুকে এই লেখার পর রুহি এবং আরো কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পর্যদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। কমিটি আশ্বাস দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাশাপাশি পরিচালনা পর্যদের নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিধিমালা সংশোধন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন অনেক মসজিদে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও, এখনো অনেক মসজিদে সেই ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি আমেরিকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী ২৫ মুসলিমের যে তালিকা করেছে সিএনএন, সেই তালিকায় থাকা ইমাম শোয়াইব উয়েব মন্তব্য করেছেন, রুহি যা করেছেন, তা প্রশংসা করার মতো। তিনি বলছেন, ''কমিউনিটি সদস্যদের মনে রাখা উচিত, রসুলের সময় নারীরা মসজিদে যেতেন, আলোচনা করতেন এবং সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।'' তবে তার আশংকা, এই বিতর্কটি পুরোপুরি প্রজন্ম কেন্দ্রিক একটা ব্যাপার। ''এ নিয়ে কমিউনিটির ভেতর ব্যাপকভাবে আলোচনা হওয়া দরকার-এজন্য মসজিদ চমৎকার স্থান হতে পারে।'' তিনি বলছেন। হাডসন মুসলিম কমিউনিটির জন্য হয়তো সেই প্রক্রিয়াটিই শুরু হল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: প্যারিসে হামলায় একজন নিহত, আহত অন্তত চারজন ঔরঙ্গাবাদে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা: মৃত্যু ও অগ্নিসংযোগ আয়াতোল্লা খামেনেই কি ট্রাম্পকে উস্কাতে চাইছেন?
বিশ বছর ধরে একটি ভবনের বেসমেন্টে নামাজ পড়ার পর, এবার নিজস্ব মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে নিউইয়র্কের অভিবাসী বাংলাদেশিদের একটি ছোট মুসলিম কমিউনিটি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মধ্যরাতে বাদশাহ সালমানের নামে কয়েকটি রাজকীয় ডিক্রি জারির মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে পরিবর্তন আনা হয় ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের লড়াইয়ের তিনবছর পূর্তির আগে আগে এই রদবদলের ঘটনা ঘটলো। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌদি আরবের সেনাপ্রধানসহ রয়েছেন বিমান বাহিনী, পদাতিক বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানরাও। মধ্যরাতে বাদশাহ সালমানের নামে কয়েকটি রাজকীয় ডিক্রি জারির মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজকীয় এসব সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছেন যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় এই খবর প্রকাশিত হলেও, এর কোন কারণ জানানো হয়নি। দেশটিতে বেশ কয়েকজন নতুন উপ মন্ত্রীও নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারী মন্ত্রীও রয়েছেন। ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের লড়াইয়ের তিন বছর পূর্তির ঠিক আগে আগে দেশটির সামরিক বাহিনীতে এই রদবদলের ঘটনা ঘটলো। গত বছর যুবরাজ সালমানের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানেই বেশ কয়েকজন পরিচিত সৌদি নাগরিক, প্রিন্স, মন্ত্রী আর কোটিপতিদের রিয়াদের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বন্দী করা হয়েছিল। বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, বাদশাহের ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় এটি আরেক দফা সংস্কার চালানো হল, যদিও এসব পদক্ষেপের পেছনে তার পুত্র এবং উত্তরাধিকারী যুবরাজ সালমান রয়েছেন। ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানও যুবরাজের সিদ্ধান্তে হয়েছিল, যা দৃশ্যত ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দেশটির প্রচলিত অনেক রীতিনীতি তিনি ভাঙ্গতে চলেছেন।
মধ্যরাতে রাজকীয় ডিক্রি জারি করে শীর্ষ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কৃষ্ণ সেন (বাঁয়ে) প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২০১৪ সালে। অবশেষে কৃষ্ণ সেন নামের সেই স্বামী গ্রেপ্তার হন শৈলশহর নৈনিতালের কাছে কাঠগোদাম এলাকা থেকে। পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছিল সেই স্বামীকে। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। তখনই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এল। "আমরা তো পণের জন্য স্ত্রীর ওপরে অত্যাচার চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিলাম কৃষ্ণ সেন নামের এক পুরুষকে। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে সন্দেহ হয় যে গ্রেপ্তার হওয়া কৃষ্ণ সেন আদৌ পুরুষ তো? জেরার মুখে সে স্বীকার করে যে সে আসলে নারী," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন নৈনিতালের সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট জন্মেজয় খান্ডুরি। এরপরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানেও প্রমাণিত হয়েছে যে সেই অত্যাচারী স্বামী কৃষ্ণ সেন আসলে একজন নারী। আসল নাম সুইটি সেন, বাড়ি পার্শ্ববর্তী উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে। তাঁর চুল আর পোশাক-আশাক দেখে যে কেউই মনে করবেন যে তিনি নারী নন, পুরুষ। এতটা জানার পরে পুলিশ যখন আরও তদন্ত শুরু করে, তখন জানা যায় সুইটি সেন নামে ওই নারী একজনকেই বিয়ে করে পণের জন্য অত্যাচার চালাচ্ছিলেন তা নয়। আগেও একটা বিয়ে করেছেন ওই নারী। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর পুরুষ বেশে কৃষ্ণ সেন। আরও দেখুন: ভিক্ষার নামে বাণিজ্য চলছে? জমিয়ে রাখা শুক্রাণু থেকে যমজ শিশুর জন্ম ভারতে মি. খান্ডরী বলছিলেন, "ফেসবুকে পুরুষের পোশাক পরে একটি প্রোফাইল তৈরি করেছিলেন ধৃত ব্যক্তি। তা দিয়েই ২০১৩ সাল থেকে কয়েকজন নারীর সঙ্গে আলাপ জমান। পরের বছরই নৈনিতালের একটি মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং শেষে তাকে বিয়ে করেন সুইটি।" সেই বিয়ের কথা লুকিয়ে ২০১৬ সালে আবারও সুইটি নিজের জালে ফাঁসান হলদওয়ানির বাসিন্দা আরেক নারীকে। দুই স্ত্রীর কাউকেই নিজের শরীর নাকি দেখাতেন না পুরুষ রূপী নারী সুইটি সেন। তবে একজন স্ত্রী ধরে ফেলেছিলেন কৃষ্ণ সেন যে আসলে একজন নারী। অভিযোগ, সেই স্ত্রীর মুখ টাকার লোভ দেখিয়ে বন্ধ করে রেখেছিলেন সুইটি। গতবছর প্রথম স্ত্রী অভিযোগ করেন যে তাঁর স্বামী পণের জন্য অত্যাচার করছেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে 'কৃষ্ণ সেন'কে। পুলিশ বলছে, প্রথমে তো স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারেরই মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু এখানে তো স্বামী-ই নেই কেউ। তাই নতুন করে জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়েছে পুরুষ রূপী নারী সুইটি, ওরফে কৃষ্ণ সেনের বিরুদ্ধে। আদালত ওই নারীকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগটা ছিল: পণের জন্য স্ত্রীর ওপরে অত্যাচার করছে স্বামী। ভারতের নানা থানায় এধরণের অভিযোগ অনেকই জমা পড়ে। অত্যাচারী স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেই অত্যাচারী স্বামী পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেছিলেন শ্রীদেবী শুধু হিন্দিতেই নয়, বরং তামিল তেলেগুসহ ভারতীয় নানা ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কোন সুনির্দিষ্ট নায়কের সমর্থন ছাড়াই অনেক সিনেমা ব্যবসা সফল হয়েছিলো তাঁর অভিনয় গুনে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে যখন পুরুষ অভিনেতাদের তুমুল দাপট এবং কাহিনি ছিলো নায়ক নির্ভর ঠিক সেই সময়েই শ্রীদেবী অভিনেত্রী হিসেবে অনেক সিনেমাকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। আরও পড়ুন বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী মারা গেছেন হজ করতে গিয়ে যৌন হয়রানি: মুখ খুললেন আরেক নারী ‘ওরাল সেক্স’ এর কারণে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সৌদি আরব - ইরান দ্বন্দ্ব: কে কার বন্ধু? বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনয় তাকে পরিণত করেছিলো প্রবল জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে। আবার অনেক ভক্তের কাছে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন সৌন্দর্যের মাপকাঠি। মূলত এসব কারণে তাকেই ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রথম নারী সুপারস্টার মনে করেন অনেকে। নায়িকা হিসেবে ৭৮ সালে হলেও তার আগে থেকেই অভিনয় করছিলেন বহু ভক্তের হৃদয়ে দেবীর আসন পাওয়া শ্রীদেবী। মূলত অভিনয়জীবনে তার শুরু হয়েছিলো শিশুকালেই, মাত্র চার বছর বয়সে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন ছিলেন শ্রীদেবী আর মোট প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রায় দেড়শ সিনেমায়। যার মধ্যে রয়েছে বক্স অফিস কাঁপানো মিস্টার ইন্ডিয়া, চাঁদনী, চালবাজ ও সাদমাসহ জনপ্রিয় অনেক সিনেমা। তাঁর বিখ্যাত সিনেমা মিস্টার ইন্ডিয়ায় একজন রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। বহুমাত্রিক এই অভিনেত্রী মাঝে একবার বিরতিও নিয়েছিলেন তার কাজে। ১৯৯৭ সালে যুদাই ছবির মুক্তির পর চলচ্চিত্র শিল্প থেকে লম্বা সময়ের জন্য বিদায় নেন তিনি। পরে ফিরে আসেন ২০১২ সালে ইংলিশ ভিংলিশ ছবির মাধ্যমে। এ ছবিতে একজন মধ্যবয়সী নারী ইংরেজী ভাষা শিখছে এমন চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ২০১৩ সালে তাকে পদ্ম শ্রী পদকে ভূষিত করে ভারত সরকার। প্রায় দেড়শ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শ্রীদেবী তাঁর মৃত্যুর খবরে শোক ছড়িয়ে পড়েছে তার সহকর্মী শিল্পী ও ভক্তদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে বার্তা দিচ্ছেন বলিউড শিল্পীরা সহ অনেকেই। অভিনেত্রী প্রীতি জিনটা টুইট বার্তা বলেছেন, "...আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন"। শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও। অভিনেত্রী কাজল লিখেছেন, "শোকাহত। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তার কাছ থেকে অনেক শিখেছি"। শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও। কিভাবে মারা গেলেন শ্রীদেবী? স্বামী বনি কাপুর ও কন্যা খুশীকে নিয়ে দুবাইতে গিয়েছিলেন একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য। মূলত ভাতিজা মোহিত মারওয়ার বিয়েতে যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবির এই নায়িকা। মৃত্যুকাল তাঁর বয়স ছিলো মাত্র ৫৪ বছর। তাঁর ভাই সঞ্জয় কাপুর বলেছেন স্থানীয় সময় রাত এগারটা থেকে সাড়ে এগারটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
১৯৭৮ সালে বলিউডে অভিষেক হয়েছিলো মায়াবী চোখ আর মিষ্টি হাসির নায়িকা শ্রীদেবীর।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভাস্কর্য বিরোধী ইসলামপন্থীদের সাথে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। উভয়পক্ষের সূত্রগুলো জানিয়েছে, আলোচনার প্রক্রিয়ায় এখন আগামী রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ইসলামপন্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। এখন ইসলামপন্থী কয়েকটি দল এবং হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে বৈঠক চেয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে ইসলামপন্থীরা ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থানেই অনড় থাকার কথা বলছে। ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় এলাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল এবং হেফাজতে ইসলাম। এরই মাঝে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আরও পড়ুনঃ মুজিব ভাস্কর্য: সরকার এবং ইসলামপন্থীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলছে ভাস্কর্য ইস্যুতে 'অবস্থান পরিবর্তন করবে না' হেফাজত ভাস্কর্যবিরোধী কড়া বক্তব্য চরমোনাই পীরের, সরকারকে সতর্কবার্তা মুজিব ভাস্কর্য: চীনে তৈরি ভাস্কর্যটি স্থাপনার কাজ শেষ পর্যায়ে কুষ্টিয়ায় গত ৫ই ডিসেম্বর শেখ মুজিবের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার রয়েছে। ইস্যুটি নিয়ে একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এবং ইসলামপন্থীদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বা কথাবার্তা চলছে। এখন ইসলামপন্থীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারও তাতে রাজি হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। "টাইম টু টাইম অনেকের সাথেই কথা হচ্ছে। আমার সাথে, আমাদের সচিব মহোদয়ের সাথে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ও প্রধানমন্ত্রীর যে সেলগুলো আছে,তারা সবাইতো কাজ করছে।" ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন, "তারা (ইসলামপন্থী দলগুলো এবং হেফাজতে ইসলাম) একটা আবেদন করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তারা বলেছে যে আমরা ১০ জন বা ১১জন ওলামা আপনার সাথে দেখা করবো।আমরা এখন এটা প্রসেস করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।তাতে দেখার সুযোগ হলে দেখা করবে।" ইসলামপন্থী দলগুলো এবং হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে আলোচনার বা বৈঠকের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানকে। তাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তাদের অনানুষ্ঠানিক একটি বৈঠক হতে পারে- এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে। ইসলামপন্থীদের আলোচনার এই উদ্যোগের সাথে জড়িত এবং ইসলাম বিষয়ক সাময়িকী আল জামিয়ার সহকারি সম্পাদক মো: আশরাফ উল্লাহ বলেছেন, ধর্মে ভাস্কর্য নির্মাণ জায়েজ নয়- সেই অবস্থানই তারা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় তুলে ধরবেন। এছাড়া ইসলামপন্থী একটি দলের নেতা বলেছেন, সরকার চাইলে ভাস্কর্য নির্মাণ করতেই পারে। কিন্তু তারা তাদের অবস্থান এবং ধর্মীয় বিষয় তুলে ধরেছেন। এখন তা বিবেচনায় নেয়া না নেয়া সরকারের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তারা তাদের অবস্থানেই যদি অনড় থাকেন তাহলে আলোচনায় কোন লাভ হবে কিনা সেই প্রশ্নে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, আলোচনা বসলে একটা উপায় বের হতে পারে। "আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিছি যে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই এবং শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক কোন সমাধান বের হয়ে আসতে পারে। এখন বল সরকারের কোটে।" "আলোচনায় বিকল্প কোন পথ বের হতে পারে। এজন্যইতো আলোচনা। অনেক জটিল জটিল বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়" বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনার কথা বললেও ইসলামপন্থীরা ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থানেই অনড় রয়েছে। হেফাজত নেতা আব্দুর রব ইউসুফী আরও বলেন, "বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় ব্যাপারে একগুঁয়েমি করেন না। এটা আমাদের জানা এবং আমাদের বিশ্বাস। সেকারণে আলোচনায় বসলে একটা সমাধান বের হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।" তবে সরকার ধোলাইপাড় এলাকায় মুজিব ভাস্কর্য নির্মাণ করবেই। এমন অবস্থান তুলে ধরে আসছে সরকার। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত কয়েকদিনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনাগুলোতেই সমাধানের কিছু প্রস্তাব এসেছে। "আমার কথা হলো, ভাস্কর্যটাই হবে। আমি বলছি, ওনারা অনেকে বলেছেন যে, ওখানে যদি বঙ্গবন্ধুর নামে একটা গেট করেন ভাল হয়। সেটা ভাল কথা। ওই জায়গায় গেট করলাম। আর ভাস্কর্য ওখান থেকে ১০ মিটার আগায় বা পিছায় দিলাম। হয়ে গেলো। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। এটা নিয়ে টেনশন করার কোন কারণ নাই" বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী । তবে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো রাজনৈতিক দিক থেকেও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশে ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকার ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
রবিবার উদ্ধার অভিযানের আগে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এই উদ্ধার অভিযান রাতভর স্থগিত করা হয়। রবিবার চারজনকে নিরাপদভাবে উদ্ধার করে আনা হয়। গুহার মধ্যে বন্যার পানি অব্যাহত প্রবাহ এবং এয়ার ট্যাং প্রতিস্থাপন করার জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সোমবার সকালে গুহার মুখে কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে উদ্ধার অভিযান আবারো শুরু করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে কখন শুরু হবে এ ব্যাপারে কোন নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। গুহার মুখে সাতটা অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রবিবার বৃষ্টির গতি কিছুটা থামলে উদ্ধার কর্মীরা সেই সুযোগটা গ্রহণ করে। কিন্তু রাতের বেলা আবারো তুমুল বৃষ্টিপাত হয়। এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলছে সামনের দিনগুলোতে আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছবিতে থাইল্যান্ডের গুহায় উদ্ধার অভিযান যেভাবে ওরা থাইল্যান্ডের গুহায় পথ হারিয়েছিল দুর্গম এলাকায় বিপদে পড়লে উদ্ধার করবে কে? অভিজ্ঞ ডুবুরিরা আগে পিছে থেকে উদ্ধার করে আনছেন আটকে পড়া ছেলেদের যেভাবে এদের বাইরে আনা হচ্ছে গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘণ্টা সময় লাগছে। এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। আর অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে। প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে। সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে। এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ফিফার জেলগুলোতে অভিজ্ঞতা কেমন হয়? বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন বেলজিয়াম এখন কাপ ফেভারিট
উত্তর থাইল্যান্ডের একটি গুহার ভেতর আটকে থাকা বাকি আট জন এবং তাদের কোচ এখন অপেক্ষায় আছে গুহার বাইরে বের হওয়ার জন্য।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ঢাকার একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ওয়ার্ড দেশের মোট মৃত্যুর শতকরা ২৭ ভাগই হৃদরোগের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোসাইটি অফ কার্ডিওভাস্কুলার ইন্টারভেনশনের মতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। দেশে ঠিক কতজন মানুষ হৃদরোগ সম্পর্কিত সমস্যায় আক্রান্ত তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে জনসংখ্যার বিশ শতাংশই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছে। এখন ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় যেসব পরিবারে হৃদরোগী আছে তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। কারণ এমনিতেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ মানুষই হঠাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই যারা হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য চিকিৎসাধীন আছেন তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়েই উদ্বেগ তাদের। ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন চাকুরীজীবী সুমাইয়া হাসান । তার শ্বশুড় ও চাচা দুজনেই হৃদরোগী। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছেন, 'আমার চাচা ও শ্বশুর রোগী। হার্টের চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এর মধ্যেই এখন শুরু হলো ডেঙ্গু। এতো অনেকটা মহামারীর মতো আকার নিয়েছে। তাই আগের বছরগুলোতে অতটা ভাবিনি। কিন্তু এবার টেনশন হচ্ছে। তাদের দুজনেরই আবার ডায়াবেটিসও আছে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'কীটনাশকে শুধু কিউলেক্স মশা মরে, এডিস নয়' এডিস মশা সম্পর্কে যেসব তথ্য জেনে রাখা ভাল 'কীটনাশকে শুধু কিউলেক্স মশা মরে, এডিস নয়' ঢাকার একটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষার দৃশ্য সুমাইয়া হাসান বলেন এডিস মশা থেকে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা। "ঘরবাড়ি সব পরিষ্কার রাখি। মশারি ব্যবহার করি সবাই। মশা প্রতিরোধী সব ঔষধ ব্যবহার করছি"। বাংলাদেশে সুমাইয়া হাসানের মতো অনেকেরই পরিবারে হৃদরোগে ভুগছেন কিংবা আক্রান্ত হয়েছেন এমন সদস্য আছে। এমনকি অনেকে হার্টে রিং পরানো কিংবা বাইপাস সার্জারি হয়েছে এমনও অনেকে আছেন বহু পরিবারে। ডেঙ্গু জ্বরের ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতারও প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রাজিব কুমার সাহা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ডেঙ্গু জ্বর নিজেই যথাসময়ে পদক্ষেপ না নিলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পরে এবং তাই হৃদরোগে আক্রান্ত কেউ যদি এ জ্বরে আক্রান্ত হন তাহলে তাকে আরও দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে কী পদক্ষেপ নিবেন হৃদরোগীরা রাজিব কুমার সাহা বলছেন যিনি ইতোমধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সবসময় সর্তক থাকতে হবে এডিস মশা না কামড়াতে পারে। "ধরুন ডেঙ্গুর যেসব লক্ষ্মণ আমরা জানি - অনেক জ্বর, বমি হওয়া, শরীরে র‍্যাশ ওঠা কিংবা পাতলা পায়খানা হওয়া- এসব হলে দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে"। তিনি বলেন খুব দ্রুত না আসলে হৃদরোগীর জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। "কারণ হৃদরোগীরা যেসব ঔষধ সেবন করে সেগুলো সাধারণত রক্ত তরল করার জন্য। এগুলো এন্টি প্লেটলেট। আবার ডেঙ্গু হলে প্লেটলেট ভেঙ্গে যায়। তাই দুটি মিলে কি হতে পারে সহজেই বোঝা যায়। তাই জ্বরের লক্ষ্মণ বোঝা গেলেই দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে"। একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণার ঝুঁকি কোথায়? রাজিব কুমার সাহা হৃদরোগে আক্রান্তদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো: ১. প্রেশার কমে যাওয়া ২. হাইপোটেনশন থেকে বিপদ হওয়ার ভয় ৩.ডেঙ্গু থেকে লিভার আক্রান্ত হতে পারে। বিলুরুবিন বেড়ে যাতে পারে। ৪. রক্তের অণুচক্রিকায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া ৫. হৃদরোগ ছাড়াও যারা উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট ফেইলিউরের ঔষধ নিচ্ছেন তাদের সেসব ঔষধ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে মি. সাহা বলেন, "ডেঙ্গু হওয়া মানে হলো এমনিতেই বিপদে। তার মধ্যে যাদের হার্ট অ্যাটাক একবার হয়েছে কিংবা রিং পরানো আছে তাদের নিজেদেরই উপলব্ধি করতে হবে যে সমস্যা হচ্ছে কি-না। সমস্যা হলেই জ্বর যাই হোক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত"। হৃদরোগ ও ডেঙ্গু: কোনটির চিকিৎসা আগে? মিস্টার সাহা বলছেন প্রথমে জ্বর নিয়ন্ত্রণে এনে শরীরের ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। প্রেশার ঠিক করতে হবে। জ্বর কমে গেলে হার্টের চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সে কারণেই হৃদরোগে যারা ভুগছেন তাদের অধিকতর সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আবার ডেঙ্গু হলে চিকিৎসক হৃদরোগের চিকিৎসার যেসব ঔষধ বন্ধ করে দেন সেগুলো জ্বর সেরে গেলে যত দ্রুত সম্ভব আবার চালু করতে হবে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে ৫৩ ভাগ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ ও এর মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে হৃদরোগ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
দ্বিতীয়দিনেও সুন্দরবনের আগুন জ্বলছে তবে আগুনটি পুরোপুরি নিভেছে কিনা, সেটা জানাতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির বনে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পেয়ে বন বিভাগ, দমকল বিভাগ ও স্থানীয় মানুষজন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। আগুনের সর্বশেষ অবস্থা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন মঙ্গলবার দুপুরে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আগুন পুরোপুরি নেভানো না গেলেও এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বন বিভাগ, ফায়ার ও স্থানীয় লোকজন মিলে দেড়শ জনের বেশি মানুষ এখানে কাজ করছে। তিনি জানান, গতকাল রাতে এবং আজ সকালে খানিকটা বৃষ্টি হওয়ার কারণে আগুন অনেকটাই আয়ত্তে চলে এসেছে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পানির লাইনটাও চালু হয়ে গেছে। আরও পড়ুন: সুন্দরবন দখল যাদের নিত্যদিনের লড়াই সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনে সতর্কতা: কতটা কাজ হবে? বেঁচে থাকার তাগিদে সুন্দরবন ছাড়ছে জলদস্যুরা মৌয়ালদের সাথে একদিন আগুনের ব্যাপকতা কতটা? সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন জানাচ্ছেন, এক একরের কম জায়গা জুড়ে আগুনটি লেগেছে। সেটি যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য 'ফায়ার লাইন' কেটে (আগুনের চারপাশের এলাকায় গাছপালা এবং মাটিতে নালা কেটে) আগুনের জায়গা অন্য জঙ্গল থেকে পৃথক করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। মি. আবেদিন বলছেন, ''আগুন এখন আর দেখা যাচ্ছে না, শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। মাটির নিচের পাতাগুলো হয়তো পুড়ছে। যেখানে আগুন, সেখানে বড় ধরনের কোন গাছ নেই, ঝোপের জঙ্গল। পুরনো পাতা জমে স্তূপ হয়ে জ্বলছে।'' সোমবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বাগেরহাটের শরণখোলার সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন লিটন। তিনি বলছেন, ''ভোলা নদী মরে যাওয়ার কারণে সুন্দরবনের ওই এলাকায় জোয়ার-ভাটার পানি তেমন একটা ওঠে না। সেই কারণে সেখানে বেশিরভাগ হচ্ছে লতা- পাতা-গুল্ম, কলাগাছ ইত্যাদি। সেগুলো মরে শুকিয়ে পাতা পচে সেখানে দুই ফুটের মতো স্তর জমেছে। এই কারণে সেখানে আগুনটা পাতার নিচ থেকে জ্বলছে।'' সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে সোমবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বন বিভাগ। আগুন কীভাবে লেগেছে? সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে সোমবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বন বিভাগ। কমিটির প্রধান এবং সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন ধারণা করছেন, অনেকে ধারণা করছেন মৌয়ালদের (যারা বন থেকে মধু সংগ্রহ করেন) কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। অথবা কারোর বিড়ি সিগারেটের আগুন ফেলে রাখা থেকে আগুন জ্বলতে পারে। শুকনো পাতা জমে যাওয়া এবং অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আগুনটি অনেকক্ষণ জমছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তদন্ত কমিটি আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বের করবে বলে তিনি জানান। সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন লিটন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, তাদের ধারণা, স্থানীয় মৌয়ালদের কেউ মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে আগুন দিয়ে থাকতে পারে। সেই আগুন থেকে বনের আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন। সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ জীবন দুই দশকে ২৩ বার সুন্দরবনে আগুন সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এ নিয়ে ২৩ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। সর্বশেষ এই বছর আটই ফেব্রুয়ারি ধানসাগর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এর আগের ২২ বারের আগুনের ঘটনায় সুন্দরবনের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৩ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে বন বিভাগ হিসাব করেছে। এসব আগুনের পেছনে বন ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা, বন সংলগ্ন নদ-নদী মরে যাওয়া, অসচেতনতা, নাশকতা, ফেলে দেয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুনকে দায়ী করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যে আইনি প্রক্রিয়া খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া সম্ভব পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কীভাবে 'খেলা' জিতলেন মমতা ব্যানার্জী আপনার শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না কীভাবে বুঝবেন আহত সৈন্যদের ভাড়াটে যৌনসঙ্গী হিসেবে কাজ করেন যে নারীরা
বাংলাদেশর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে বন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বহু মানুষ খুব কেতাদুরস্ত থাকতে পছন্দ করেন। গত মৌসুমে যে পোশাকটি হাঁটু পর্যন্ত চল ছিল, ঠিক তার কয়েক মাস পরেই পায়ের গোড়ালি ছুঁই অথবা বেশি ঘের, কম ঘেরের কোন গাউন বাজার মাতিয়ে দিলো। প্রতি মৌসুমে আপনিও ছুটছেন জমকালো শপিং মলে সেটি কিনবেন বলে। হঠাৎ বাজারে নির্দিষ্ট কোন রঙের পোশাকের খুব কাটতি বাড়ল। যেমন বাংলাদেশে উৎসবের মৌসুমে নির্দিষ্ট কিছু রঙের পোশাক কিনতে মানুষজন বাজারে ছুটতে থাকেন। কিন্তু বাকি সারা বছর পোশাকটি পরে থাকে। কয়েক মাস পরে তা হয়ে যায় গত মৌসুমের পোশাক। আরো পড়ুন: ফ্যাশন ম্যাগাজিনে ‘মরদেহে’র মত মডেলদের দিন কি শেষ? নখে জেলপলিশ ও অ্যাক্রেলিক ব্যবহারে সাবধান ডিজাইনার এবং পোশাক বিক্রেতারা আনকোরা কিছু দিতে সবসময় একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নামেন। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছি আমরা সবাই। নিত্য নতুন পোশাক পরে বাহবা পেতে চাই আমরা অনেকে। কিন্তু এর একটা চরম খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। প্রতি মৌসুমে আসছে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক। ফ্যাশন কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে? ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি প্রচুর পরিমাণে গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন করে। ব্রিটেনে পোশাক বিক্রেতা এবং হাল ফ্যাশন নিয়ে মাতামাতি করেন এমন ব্যক্তিরা পরিবেশের ক্ষতিতে তাদের ভূমিকার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। ব্রিটেনে হাউজ অফ কমন্সের পরিবেশ বিষয়ক একটি কমিটি বলছে প্রতি মৌসুমে না লাগলেও শুধু কেতাদুরস্ত থাকার জন্য নতুন কাপড় কেনা মানেই এক বছর বা মাত্র কয়েক মাসেই প্রচুর কাপড় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাতিল কাপড় গিয়ে জমছে ময়লার ভাগাড়ে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনেই সবচাইতে বেশি নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা। গত এক দশক আগে মানুষজন সেখানে যে পরিমাণ কাপড় ক্রয় করতো এখন তার দ্বিগুণ কিনছে। এই কমিটির তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে গত বছর প্রায় ২৫ কোটি জামা কাপড় ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেখানে প্রতি পাঁচটি কাপড়ের তিনটি বাতিল হচ্ছে এবং ল্যান্ডফিল থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তাতে খরচ হচ্ছে জ্বালানি। ব্রিটেনে ২০১৫ সালে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারণে একশ বিশ কোটি টন কার্বন উৎপন্ন হয়েছে। চলে ক্রয় বিক্রয়ের প্রতিযোগিতা। কাপড় প্রস্তুত করতে বা ধুতে পানি ও বিদ্যুৎ লাগে, জ্বালানি লাগে সেটি বিবেচনা করতে হবে। একটি জিনসের প্যান্ট যতদিন টেকে ততদিন সেটি পরিষ্কার করতে প্রায় চার হাজার লিটার পানি দরকার হয়। মাত্র একটি জিনস পরিষ্কার করতে যদি এত পানি লাগে তাহলে আপনি বছর জুড়ে জিনস সহ যত কাপড় পড়ছেন তা পরিষ্কার করতে কত পানি লাগে চিন্তা করুন তো। বা একটা পুরো শহরের কাপড় ধুতে কত পানি লাগে? কাপড় উৎপন্ন করতে বিদ্যুৎ লাগে। মেশিনে কাপড় পরিষ্কার করতে বা তা আয়রন করতেও বিদ্যুৎ লাগে। হাউজ অফ কমন্সের পরিবেশ বিষয়ক কমিটি আরও বলছে শুধুমাত্র একটি পরিবার মেশিনে একবার কাপড় পরিষ্কার করার পর সত্তর হাজার কাপড়ের তন্তু পানির সাথে পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। যেসব কাপড় আপনি বাতিল করছেন তা এক পর্যায়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। সমুদ্রের মাছ কৃত্রিম কাপড় খাচ্ছে। এই কমিটির হিসেবে ২০৫০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পড়বে তার তিন ভাগের এক ভাগেরও বেশি দায় হবে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির। নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে পোশাক প্রদর্শন করছেন দুইজন মডেল। কিন্তু এর সমাধান কি? কাপড় ফেলে দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আনার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের পরিবেশ বিষয়ক কমিটি। তারা বলছে পরিবেশের উপর যে প্রভাব পড়ছে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে সরাসরি তার দায়ভার নিতে হবে। দূষণ রোধে তাদের সরাসরি কাজ করতে হবে। ব্রিটেনে যেসব পোশাক বিক্রি হয়না সেগুলো পুড়িয়ে ফেলছেন অনেক বিক্রেতা। সেটি বন্ধ করার কথা বলছে কমিটি। ব্যক্তি হিসেবে আপনারও করনিয় আছে। যেমন ফেলে না দিয়ে কাপড় দান করে পারেন। এতে কাপড় রিসাইক্লিং হবে এবং কিছুটা লাভ হবে। শুধু দরিদ্র নয় আপনি নিজেও রিসাইক্লিং করা কাপড় কিনতে পারেন। বেশিদিন টেকে এমন কাপড় তৈরি করা যেতে পারে। ইচ্ছেমত কাপড় বাতিল করার বদলে বেশিদিন পড়তে পারেন। পোশাক বিক্রেতারা কি বলছেন? ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা পিটার অ্যান্ড্রুজ বিবিসিকে বলেছেন জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কাপড়ের চাহিদার কারণে কাপড়ের পরিমাণ এবং পরিবেশের উপর তার প্রভাব বাড়ছে। তিনি বলছেন, তাদের সদস্যরা এখন বেশি টেকে এমন পোশাক ডিজাইন করছেন। তারা ক্রেতাদেরও কাপড় দান করার ব্যাপারে উৎসাহিত করছেন। ক্রেতাদের বলা হচ্ছে অব্যবহৃত কাপড় দোকানে দিয়ে যেতে। অন্যান্য খবর: জরায়ু মুখের ক্যান্সার সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা জরুরী ডোনাল্ড ট্রাম্প কি সৌদি বাদশাহকে হুমকি দিলেন? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রচারণায় সাংবাদিকদের গুরুত্ব কেন?
পশ্চিমা বিশ্বে শীত, গ্রীষ্ম, শরত সব মৌসুমে নতুন সব ডিজাইনের পোশাক বের হয়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা হয়তো থাকেন হাজার হাজার মাইল দূরে, কিন্তু তারপরেও বন্ধুর অভাব নেই নির্ধারিত সময়ের আগেই চাকরি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। তারপর কথা ছিল তারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন। গ্র্যান ক্যানারিয়ার পর তারা এবার ভারতে দু'সপ্তাহের জন্যে একটি হলিডে বুক করলেন। ম্যারি এবং স্টিভ মাসক্রফ্ট ঠিক করলেন যে তারা যাবেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের কোভালাম শহরে। তারা গেলেন, কিন্তু সেখান থেকে একেবারে ফিরে এলেন না। তাদের চোখে পড়লো দুটো কুকুর। প্রাণীটির প্রতি তাদের মায়া এতোই তীব্র হয়ে উঠলো যে এই দম্পতি কুকুর দুটোকে দেখাশোনা করতে শুরু করলো। তারপর কেটে গেছে ১০ বছর। এখন তাদের আছে একশোটির মতো কুকুর। প্রাণীদের জন্যে তারা একটি ক্লিনিকও পরিচালনা করেন। বেওয়ারিশ কুকুর দেখভাল করার জন্যে তারা একটি সংস্থাও গড়ে তুলেছেন যাদের কাজ রাস্তা থেকে অসুস্থ কুকুর তুলে এনে তাদেরকে খাওয়ানো, টিকা দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো পড়ুন: শিশু মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত 'খুনী কুকুর' পিরামিডের নিচে হাজার বছর আগের নৌকার খোঁজে মসজিদে নারী উপস্থিতি: বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিতর্ক কোটা বাতিল: প্রজ্ঞাপন জারিতে বিলম্ব কি সরকারি কৌশল "কোনদিন ভাবিনি আমার জীবনে এরকম কিছু হবে, বলেন ম্যারি, একজন গায়িকা, থাকেন মিডেলসেক্সে, "কিন্তু আমরা তো শুধু বসে বসে, বই পড়ে এবং খেয়ে দিয়ে জীবন কাটিয়ে দিতে পারি না। আমি মনে করি কেউই এরকম করে জীবন সাজাতে চায় না।" স্টিভ অবসর নেওয়ার আগে ব্র্যাডফোর্ড শহরে একটি ব্যবসা চালাতেন। "আমাদের খুব বেশি আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না। আবার খুব একটা অসুবিধাও ছিল না। তাই অল্প বয়সেই আমরা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ইউরোপে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আমাদের তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না," বলেন স্টিভ। কুকুরটিকে পরিষ্কার করার কাজ চলছে কিন্তু এই দম্পতির প্রথম লক্ষ্য ছিল চাকরি বাকরি ছাড়াই জীবনটা কেমন চলে সেটা দেখার। "আমরা তো মাত্র দু'সপ্তাহের জন্যে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দুটো কুকুরের বাচ্চার প্রেমে পড়ে গেলাম।" স্টিভ বলেন, "তারপর তো সবকিছু বদলে গেল। দুটো কুকুর থেকে ছ'টি কুকুর হলো। তারপর হলো ১২টি। এভাবে বাড়তেই লাগলো।" কিছুদিন পর এমন হলো যে এই দম্পতি কোভালাম শহরের বেওয়ারিশ কুকুর খুঁজে বের করতে শুরু করলেন। আরম্ভ করলেন ঘুরে ঘুরে তাদের খাওয়ানোর কাজ। একটা সময়ে কুকুরের সংখ্যা এতো বেড়ে গেল যে তাদের জন্যে খাবার দাবার নিয়ে যেতে বড় একটি রিকশা ভাড়া করতে হলো। এজন্যে একজন রিকশাচালককেও অনেকটা স্থায়ীভাবেই ভাড়া করা হলো। তার নাম কুক্বু। এখন তিনি কুকুর ক্লিনিকের ম্যানেজার। শহরের সবাই তখন জেনে গেল এই দম্পতির কথা। রাস্তা থেকে তারা তো কুকুর কুড়িয়ে আনতেনই, লোকজনও এই দম্পতির বাড়ির দরজার সামনে কুকুর রেখে যেতে শুরু করলেন। স্টিভ জানান, একবার তারা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে ছ'টি কুকুরের বাচ্চা পেয়েছিলেন। অনেকেই এসব কুকুর দেখতে আসেন এভাবেই বদলে গেল এই দম্পতির জীবন। দিন রাত তাদের কাজ হয়ে গেল রাস্তা থেকে অসুস্থ কুকুর বাড়িতে নিয়ে আসা, খাওয়ানো এবং চিকিৎসা করা। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তেন এই দম্পতি। তারপর তারা কুকুরগুলোকে গোসল করান, খাবার দেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত এতো গরম পড়ে, বেশিরভাগ দিনই গড় তাপমাত্রা পৌঁছায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে, সেসময় কুকুরগুলো একটু ঘুমায় এবং চারটার পর আবার শুরু হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব। এই দম্পতি বলছেন, কুকুরের অসুখ বিসুখ কোভালামে কোন সমস্যা নয়। কিন্তু তারপরেও শুরুতেই তাদেরকে টিকা দেওয়া হয়। এই দম্পতি বলছেন, কেরালার এসব কুকুরের পেছনে তারা নিজেদের জমানো তিন লাখ পাউন্ড খরচ করে ফেলেছেন। অর্থ সংগ্রহের জন্যে তারা মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন। বহু পরিবার, বন্ধু এবং পর্যটকও তাদেরকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তারা যখন কুকুরদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন তখন কোভালামের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ৬৩৩টি কুকুর ছিল। ২০১৭ সালে তাদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮৯। যেসব কুকুর সুস্থ তাদেরকে জীবাণুমুক্ত করে আবার রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র অসুস্থ কুকুরকেই নিয়ে আসা হয় তাদের আশ্রয়ে। "আমি আমার আত্মীয় স্বজনকে মিস করি, মিস করি বন্ধুদের, ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, খাবার দাবারও মিস করি। আরও মিস করি পাব এবং ফুটবল নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান ম্যাচ অফ দ্যা ডে," বলেন স্টিভ। "তবে ভালো কিছু দিকও আছে। যেমন এখানে আমাকে গাড়ির কাঁচে জমা বরফ পরিষ্কার করতে হয় না। ঠাণ্ডায় ঘর গরম করার জন্যে বাড়তি বিলও গুণতে হয় না।" "৬০ বছর বয়সে যেরকম থাকা যায় সেই হিসেবে আমি খুশি," বলেন তিনি।
ব্রিটিশ এক দম্পতি মাত্র ১০ দিনের জন্যে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভারতের কেরালায়, কিন্তু তারা আর ফিরে আসেননি এবং সেখানকার একদল কুকুরের পেছনে তারা খরচ করেছেন তাদের নিজেদের জমানো তিন লাখ পাউন্ড। কেন?
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সাব-ইন্সপেক্টর শবনম আক্তার পপি: তাঁকে বর্ণনা করা হচ্ছে পুলিশের 'রোল মডেল' হিসেবে গাড়ি ছুটলো মহাখালির দিকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ভয়াবহ পরিস্থিতি। অনেক কটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। রাস্তায় উল্টে আছে গাড়ি। পথ বন্ধ। বিরাট বিশৃঙ্খলা। "ভিআইপি পরিবহনের বাসটি যখন ফ্লাইওভার থেকে নীচে নামছিল, তখন সেটি ব্রেক ফেল করে সামনের গাড়িতে ধাক্কা মারে। ধাক্কাটা আসলে জোরে-শোরেই ছিল। পরপর দশটি গাড়িতে ধাক্কা লাগে। একটা পিক-আপ ভ্যান উল্টে একজন মারাত্মকভাবে আহত। কয়েকজন মোটর বাইক আরোহীও আহত হয়েছেন," বলছিলেন তিনি। দিনটি ছিল ২২শে এপ্রিল, রবিবার। সেদিন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শবনম আক্তার পপি এরপর যা যা করেছিলেন, সেটিকে তিনি ভেবেছিলেন পুলিশ হিসেবে তাঁর কর্তব্য। কাজের অংশ। কিন্তু যারা সেদিন ঘটনাটি দেখেছেন, ছবি তুলেছেন এবং সেই ঘটনার কাহিনী এবং ছবি অনলাইনে শেয়ার করেছেন, তাদের কাছে এটি ছিল বিরল এবং অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী যেখানে প্রতিদিন নানা কাজের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে, কিছু পুলিশ সদস্যদের নানা কান্ড-কীর্তির কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে শবনম আক্তার পপিকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় 'আদর্শ' বা 'রোল মডেল' হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। কী ঘটেছিল সেদিন: শবনম আক্তার পপির সঙ্গে কথা হয় টেলিফোনে। মহাখালি ফ্লাইওভারের সেই দুর্ঘটনার পর সেদিন সেখানে কী হয়েছিল, নানা প্রশ্নের উত্তরে সবিস্তারে জানিয়েছেন তিনি। শবনম আক্তারকে নিয়ে চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচে "ঘটনার গুরুত্ব বুঝে আমি কাছাকাছি আরও যে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন তাদের সাহায্য চাইলাম। ভিআইপি পরিবহনের গাড়িটা বিকল হয়ে পড়ে ছিল একেবারে মাঝ রাস্তায়। এর ফলে সেখানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। গাড়িটার ব্রেক ফেল করেছিল। কাজেই কিভাবে গাড়িটা সরানো যায়, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি নিজেই গাড়িটা চালিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেব।" "আমার মনে হয়েছিল তখন যদি আমি দ্রুত গাড়িটা রাস্তা থেকে সরিয়ে না নেই, তাহলে আমার ডিপার্টমেন্টের বদনাম হবে। আর আমার ডিপার্টমেন্ট এই ট্রেনিংটাই দেয় মানুষের সেবা করা, বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা। আমাদের কিন্তু ট্রেনিং এ এটাই শেখানো হয়।" শবনম আক্তার পপি গাড়ি চালানো শিখেছিলেন নিজের আগ্রহেই। পরে পুলিশ সদস্য হিসেবেও গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। কাজেই বাসটি চালিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। তবে কিছুটা ভয় কাজ করছিল, যেহেতু বাসটির ব্রেক কাজ করছিল না। "কোন গাড়ি যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তখন একজন ড্রাইভারের অভাবে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়। আমার মনে হয়েছিল, পুলিশ হিসেবে আমাকে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা হ্যান্ডেল করতে হয়। তখন আমার মনে হয়েছিল গাড়ি চালানো শেখাটা খুব জরুরী।" যে পিক-আপটি রাস্তায় উল্টে গিয়েছিল, তার ড্রাইভার আহত হয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়। ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন। তাকে ফার্ষ্ট এইড দেয়ার কাজেও এগিয়ে গেলেন শবনম আক্তার পপি। "তার অবস্থা দেখে আমার বেশ খারাপ লাগছিল। তখন আমি একজনকে টাকা দিয়ে বললাম, আমাকে কিছু বরফের টুকরো এনে দিন। আমি আহত লোকটিকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম এই বলে যে আপনার কিছুই হয়নি। আমি পরে তার আঘাতের জায়গাগুলিতে বরফের সেঁক দেই। " "লোকটি বলছিল তার পা বোধহয় ভেঙ্গে গেছে। তখন আমি গামছা দিয়ে সেখানটা বেঁধে দেই। তখন আমার মনে হচ্ছিল, যদি আমি সেই সময়ে এই প্রাথমিক চিকিৎসটা না দেই, এই পা হয়তো আর ভালোই হবে না। আহত লোকটিতে এরপর দাঁড়াতে সাহায্য করেন তিনি, হাঁটতে সাহায্য করেন। তারপর একটি গাড়িকে অনুরোধ করে লোকটিকে বাড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পুলিশ সদস্য হিসেবে ফার্ষ্ট এইডের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন শবনম আক্তার পপি। তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের এখন এসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাঁর ভাষায়, "বাংলাদেশ পুলিশ এখন অনেক এগিয়ে। আমাদের ড্রাইভিং, ফার্ষ্ট এইড- সব কিছুই শেখানো হয়।" বাংলাদেশে পুলিশের ভাবমূর্তি খুব উজ্জল নয়। 'রোল মডেল' বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরেই যেখানে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার কান্ড-কীর্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে, সেই পটভূমিতে শবনম আক্তার পপির এই ভূমিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকে। সেদিন আহত এক মানুষকে তাঁর ফার্স্ট এইড দেয়ার ঘটনার ছবির নীচে মন্তব্য করেছেন অনেকে। রহমান আজিজ নামে একজন তাঁর প্রশংসা করে লিখেছেন, "পুলিশ জনগণের বন্ধু সেটা পপি আপা দেখালেন। তবে সব পুলিশ যদি এমন হতো তবে বদলে যেত বাংলাদেশ।" হাসান ইমাম নামে একজনের মন্তব্য, "শত সহস্র সালাম সেসব পুলিশ সদস্যদের যারা সত্যিকারের পুলিশের সন্মান রেখে জনগণের সেবা করে। এদের কাছ থেকেও তো খারাপ পুলিশরা কিছু শিখতে পারে!!" ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাক আহমেদ নিজেও এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন পথচারীর পায়ের শুশ্রুষা করছেন একজন পুলিশ সদস্য। এই ছবি শুধু পুলিশের সেবার কথা বলে না, পরিবর্তনের কথাও বলে। শ্রদ্ধা।" সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে এই শোরগোল কেমন লাগছে শবনম আক্তার পপির? এটিকে বেশ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন তিনি। "আমার স্যার আমাকে নিয়ে ফেসবুকে যে পোস্টটি দিয়েছেন, সেটি আমার অন্তর ছুঁয়ে গেছে।" শবনম আক্তার পপি: 'পুলিশ বাহিনীতেই সেবা করার সুযোগ বেশি' তবে যে কাজ তিনি সেদিন করেছেন, সেটি যে অসাধারণ কিছু সেটা তিনি মনে করেন না। তার মতে, পুলিশের এই কাজই করার কথা। "আমি সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সেবা করার চেষ্টা করি। আর এখন পুলিশের কাজ আমাকে এই কাজ আরও বড় পরিসরে করার সুযোগ করে দিয়েছে।" পুলিশের যে নেতিবাচক ভাবমূর্তির কথা সবসময় বলা হয়, তার সঙ্গে একমত নন তিনি। "পুলিশ কিন্তু বেশিরভাগ সময় ভালো কাজ করে। সাদা কাপড়ে ময়লা লাগলে যেমন বেশি চোখে পড়ে, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ব্যাপারটাও তাই। অন্যায় কিন্তু খুব কমই হয়। আমরা কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেশের মানুষের সেবাতেই নিয়োজিত থাকি।" পুলিশ সদস্যদের যে কত দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয় তার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার কাজটা অন্য পুলিশ সদস্যদেরও ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করেন শবনম আক্তার পপি।
সেদিন শবনম আক্তার পপির কল সাইন ছিল 'এপোলো-সিক্স-ওয়ান'। টহল দিচ্ছেন মহাখালি এলাকায়। রুটিন ডিউটি। হঠাৎ ওয়্যারলেসে বার্তা এলো। মহাখালিতে এক্সিডেন্ট হয়েছে। এখনই ছুটতে হবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
যানবাহন পুড়েছে অনেক রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে চলমান ঘটনাবলীকে ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। দেশটির বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ ও বিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিলো রোববার, যা পরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নেয় বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। ছবি এবং ভিডিওতে সয়লাব হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এসব ছবিতে দেখা গেছে, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি লাঠি-রড নিয়ে মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সংঘর্ষকারীরা। বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু - এই দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষই আছেন। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ১৯০ জন। বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ সব ধরণের হামলার শিকার ব্যক্তিরাই আছেন। দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানাচ্ছেন, মঙ্গলবারও পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে দিল্লির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। তবে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন ও মৌজপুর চক থেকে বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ-বিপক্ষের মানুষেরা এখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো। দিল্লির সহিংসতা: 'এখানে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি' শহরে ট্রাম্প, তবু যেভাবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দিল্লি অন্তত দুটি মসজিদে হামলা হয়েছে বুধবার সকাল নাগাদ পুরো এলাকায় পুলিশ ও প্যারামিলিটারি সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। গভীর রাতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সহিংসতা হয়েছে এমন কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছেন এবং শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি সিলমপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর এবং গোকুলপুরি চক এলাকা পরিদর্শন করেন। দিল্লিতে ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষিতে আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নিরাপত্তা বিষয়ক কেবিনেট কমিটি। মিস্টার দোভাল এই কমিটির সামনে পরিস্থিতির বিস্তারিত তুলে ধরবেন। শুভজ্যোতি ঘোষ আরও জানাচ্ছেন যে স্কুল বন্ধ আছে এবং বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওদিকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেছে মঙ্গলবার রাতেই। তবে পুলিশ জলকামান দিয়ে রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তিন দিন ধরে চলছে সংঘর্ষ সহিংসতা আবার রাতেই এক নজিরবিহীন আদেশে হাইকোর্ট তিনদিন ধরে চলা সহিংসতায় আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে নেয়া ও জরুরি চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনকে। বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তারদের পিটিশনের শুনানি হয়েছে রাতেই, বিচারপতি এস মুরলীধরের বাসায় দুজন বিচারপতির বেঞ্চে। ওদিকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুলিশ ও অন্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে মঙ্গলবারই স্পেশাল পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এসএন শ্রীবাস্তবও যোগ দিয়েছেন। তবে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন তীব্র সমালোচনাও হচ্ছে বলে জানান শুভজ্যোতি ঘোষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন যে সংঘর্ষকারীদের কারও কারও হাতে বন্দুক দেখা গেছে। সহিংসতা হয়েছে মূলত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। এসব এলাকার সড়কগুলো এখন অনেকটা ধ্বংসস্তূপের মতো রূপ নিয়েছে, রাস্তায় পুড়ছে যানবাহন, উড়ছে ধোঁয়া - বলছিলেন বিবিসি হিন্দির সংবাদদাতা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী। হামলার মুখে অনেকেই বাড়িঘর ছাড়ছেন তিনি আংশিক পুড়ে যাওয়া মসজিদ দেখেছেন, যেখানে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কুরআনের পাতা। আরেকটি মসজিদেও হামলা হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে। ব্যাপক প্রচার হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একদল লোক মসজিদের মিনারে উঠছেন। সংঘর্ষ হওয়া এলাকাগুলো দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্তের কাছে। এখানে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকসহ অনেকেই টুইট করেছেন এই বলে যে হামলাকারীরা তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। একজন ফটো সাংবাদিক বলেছেন, তাকে তার প্যান্ট খুলে ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। তবে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রাধোয়া মঙ্গলবারই বলেছেন যে পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তিনি জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ ও প্যারামিলিটারি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতার তৃতীয় রাতেও বেশীরভাগ ঘটনায় মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এ অবস্থায় ভারত এবং পাকিস্তান এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যখন সংঘর্ষ চলছে তখন বাংলাদেশের উপর এর কী প্রভাব পড়তে পারে? সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলছিলেন "বাংলাদেশকে বাইরের বিশ্বের মানুষ তো দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে দেশ হিসেবে দেখছে না।" "তাই দক্ষিণ এশিয়ায় যখন উত্তেজনা বা যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয় তখন তারা (বহিঃবিশ্ব) বাংলাদেশকে তার মধ্যেই দেখবার একটা প্রবণতা তৈরি হয়।'' 'তিনি বলছেন, 'অবশ্যই আমরা বিনিয়োগের কথা ভাবি, ব্যবসা বাণিজ্যের কথা ভাবি, বাইরে লোক পাঠানোর কথা বলি- এইসব বিষয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কূটনৈতিকভাবে এটা একটা বড় জায়গা।" দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই দুইটি দেশের সাথে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আরো পড়ুন: একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? কাশ্মীরে আকাশ থেকে যুদ্ধ, ভারতীয় বিমান 'ভূপাতিত' বাংলাদেশের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের যেটির সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে , সেটি হলো ভারত। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উপর কোন লাভ বা ক্ষতির আশঙ্কা আছে কী? বিষয়টি নিয়ে কথা বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। "আপাতত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু না হলেও সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বাণিজ্যিক যেসব সুযোগ-সুবিধার পেতে পারতো সেটা এই চলমান উত্তেজনা একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করলো বাংলাদেশের জন্য," তিনি বলেন। গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি বলছেন, পাকিস্তান এবং ভারত উভয় সার্কভুক্ত দেশের সদস্য। আবার সার্ককে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সার্কের সদস্য হিসেবে নানা রকম অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেখানে সব সময় ভারত এবং পাকিস্তানের ইস্যু এক ধরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। "এই নতুন উত্তেজনার ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলো অর্থনৈতিক যে সুযোগ-সুবিধা অর্জন করতে পারতো, সেটাকে আরো পিছিয়ে দিল বা একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করলো।" পুলওয়ামা হামলা নিয়ে এর আগে বাংলাদেশ সরকার নিন্দা জানিয়েছে। সেটা ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোকসানা কিবরিয়া বলছিলেন, ''এটা দ্বারা ভারতকে সমর্থন করছে এটা সরাসরি বলা যাবে না।" "আবার পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগে থেকেই দুর্বল অবস্থানে রয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশে এখন পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ কোন রাষ্ট্রদূত নেই।'' মিজ. কবির বলছিলেন, চলমান উত্তেজনা, রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের উপর কতটা প্রভাব পরবে সেটা বোঝা যাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার অবস্থান এবং প্রতিক্রিয়া কী সেটা দেখা। সার্কভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ। পুলওয়ামা হামলায় বাংলাদেশে নিন্দা জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটা হল একটা নীতিগত অবস্থান জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এখন বাংলাদেশ যেখানে, যে প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী জঙ্গিবাদের শিকার হয়েছে সেখানেই নিন্দা জানিয়েছে।" "এখন কে জঙ্গিবাদের শিকার হল এবং কে শিকার করলো - সেটা কিন্তু আলাদা প্রশ্ন। এখানে কিন্তু জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে প্রিন্সিপাল বা নীতিগত অবস্থান সেটাই ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।" তবে অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলছিলেন, একেবারে ক্ষতির দিক চিন্তা না করে এর উল্টোটাও হতে পারে। যদি উত্তেজনা বাড়তে থাকে তাহলে ভারত-পাকিস্তান যে পণ্যগুলো উভয় দেশ থেকে আমদানি করতো, সেসব পণ্য পাশের দেশে হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে এমন সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ‘কেউ মোহামেডান সাপোর্ট করলে তাকে বিএনপি ভাবা হয়' খনি দুর্ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৬০ জন নিহত ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিম বৈঠক: জেনে রাখতে পারেন যেসব তথ্য বালাকোট হামলা: কতো দূর গড়াতে পারে উত্তেজনা
বাংলাদেশের পরমাণু শক্তিধর বড় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে কম বেশি ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে বাংলাদেশের সব সরকার। সেই তুলনায় পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিভিন্ন সময়ে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কিন্তু সেটি গবেষণার কাজে ব্যবহৃত না হয়ে বিস্ফোরক পরীক্ষা করার কাজে ব্যবহার করা হয়। গত সপ্তাহে আমেরিকার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে একটি বায়োলজিক্যাল রিসোর্স সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলার বিস্তারিত প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৪ সালে সেই সেন্টারটিতে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই অভিযান চালিয়ে মানবদেহের কয়েকশত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেয়েছে। এই সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, মৃতদেহ দানকারী ব্যক্তিদের ইচ্ছা অনুযায়ী সেগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার না করে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আদালতের কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, মৃতদেহ দানকারী ব্যক্তিদের পরিবারগুলো বলছে যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য মৃতদেহ দান করা হয়েছিল। একটি মামলার বাদী জিম স্টফার বলেন, তাঁর মা আলঝেইমার্স রোগের চিকিৎসার গবেষণার জন্য মৃতদেহ দান করেছিলেন। যেহেতু তিনি নিজে আলঝেইমার্স রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মি: স্টফার জানতে পারেন যে বিস্ফোরকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী তার মায়ের মৃতদেহ ব্যবহার করেছিল। আরও পড়তে পারেন: মানুষের মৃতদেহ থেকে জৈব সার তৈরি হবে আমেরিকায় শ্মশানে লাশ তুলে তান্ত্রিক সাধনা, পাঁচ কিশোর গ্রেপ্তার খাসোগজির দেহ কোথায়? জানতে চাইলেন এরদোয়ান শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ বা দেখভাল করে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস বিভাগ। কিন্তু মৃতদেহ দান করার বিষয়টি দেখভালের কেউ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে মৃতদেহ কেনা-বেচা একটি অপরাধ। কিন্তু মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া, সংরক্ষণ করা, পরিবহন করা এবং ফেলে দেয়ার জন্য কিছু যৌক্তিক অর্থ নেয়া আইনসিদ্ধ কাজ। কিন্তু এই 'যৌক্তিক অর্থ' বলতে কী বোঝায় সেটি অবশ্য পরিষ্কার নয়। চিকিৎসা গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর কত মৃতদেহ দান করা হয় সেটির কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ শিক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য মৃতদেহ দান করে। তারা মনে করে, এই মৃতদেহ গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য এই মৃতদেহ ব্যবহার করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মতো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কাজটি স্বচ্ছ উপায়ে করে। ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি অ্যানথ্রোপলজিক্যাল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি বলছে, মানুষের মৃতদেহ কিভাবে পঁচে যায় সেটি নির্ণয় করার জন্য ফরেনসিক দলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানাটমিক্যাল সার্ভিসেস-এর এক কর্মকর্তা জানালেন, মৃতদেহগুলো কোথায় যাচ্ছে সেটি নির্ণয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন বর্তমানে যেসব নিয়মকানুন আছে সেগুলো যথেষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট আইনের অভাবে দানকরা মৃতদেহগুলো যে উদ্দেশ্যে দেয়া হচ্ছে, সেটি পুরোপুরি পালন করা হচ্ছে না। এগুলোর অপব্যবহার হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। যেসব প্রতিষ্ঠানে মৃতদেহ দান করা হয় সেগুলোকে সনদ দেয় আমেরিকান এসোসিয়েশন অব টিস্যু ব্যাংকস। যদিও এ ধরণের সনদ বাধ্যতামূলক নয়। অ্যারিজোনার যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মৃতদেহ অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তাদের কোন সনদ ছিল না এবং তারা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক-ভিত্তিতে পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানটি বিনা খরচে মৃতদেহ নিয়ে আসা এবং সমাহিত করার ব্যবস্থা করে। ফলে বিষয়টি নিম্ন আয়ের মানুষকে আকৃষ্ট করে। অন্যান্য দেশে মৃতদেহ দান কাতারের অ্যাসপিটার হাসপাতাল, যেটি ২০০৭ সালে চালু হয়েছে। ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে হিউম্যান টিস্যু অথরিটি নামে একটি সংস্থা আছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গবেষণার জন্য মৃতদেহ দান করা হয়, সেখানে নিয়মিত পরিদর্শন করে টিস্যু অথরিটি। ব্রিটেনে ১৯টি প্রতিষ্ঠান আছে যারা দান করা মৃতদেহ গ্রহণ করে। অনেক দেশ আছে যেখানে ধর্মীয় কারণে চিকিৎসা গবেষণার জন্য মৃতদেহ দান করার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয়। আফ্রিকার অনেক দেশে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার ক্ষেত্রেও নানা ধরণের সামাজিক বিধি-নিষেধ আছে। কাতারে একটি হাসপাতাল আছে যেখানে চিকিৎসা গবেষণার জন্য মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমদানি করা হয়। এই হাসপাতালটি ১২ বছর যাবত কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় বায়োলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি মৃতদেহ দানকারী শিল্পে অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। কিন্তু তারপরেও মৃতদেহ দানকরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মানবদেহকে বোঝার জন্য এটি অমূল্য একটি বিষয়। মৃতদেহ দানকরা নিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারের সুসান পর্টারের ঘটনা। ২০১৫ সালে এই বৃদ্ধ নারী তার মৃতদেহ দান করেন কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ভিজিবল হিউম্যান প্রজেক্ট-এর ড. ভিক স্পিটজারের কাছে। এই প্রজেক্টর মাধ্যমে মানবদেহকে ভার্চুয়াল নমুনায় রূপান্তর করা হয়। সুসান পর্টারের মৃতদেহ কেটে ২৭০০০ টুকরা করা হয়। প্রতিটি টুকরার ছবি নিয়ে সেগুলোর ভার্চুয়াল স্তূপ করা হয় এবং সেগুলোর মাধ্যমে তার শরীরের থ্রিডি ইমেজ তৈরি করা হয়।
আলঝেইমার্স রোগের গবেষণার জন্য নিজের মায়ের মৃতদেহ দান করেছিলেন এক ব্যক্তি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পোস্তগোলায় সংঘর্ষের সময় এ ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। এ ছবিটি বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে। ঢাকার পোস্তগোলায় একটি সেতুর টোল বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও পুলিশের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় শ্রমিক পুলিশের মাঝে ব্যাপক ধাওয়া এবং পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলিও চালিয়েছে। তবে পুলিশ গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোকাবেলা করার জন্য অস্ত্রধারীরাও এসেছিল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি, হাতে অস্ত্র এবং জাঙ্গিয়া পড়া ব্যক্তিটি আসলে কে? তিনি কি পুলিশের সদস্য? নাকি অন্য কেউ? পুলিশের সদস্য হলে তার ইউনিফর্ম নেই কেন? অস্ত্রধারীরা কি পুলিশের পাশে অবস্থান করতে পারে? আরো পড়ুন: 'পুলিশকে এড়িয়ে চলি, সহযোগিতা আশা করি না' প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি চুম্বনের ভাইরাল সেই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় সংঘর্ষের সময় পাশের একটি গলি থেকে বেরিয়ে আসেন জাঙ্গিয়া পরা এ ব্যক্তি। কারণ বাংলাদেশে অতীতে বিভিন্ন সংঘর্ষের সময় দেখা গেছে, ইউনিফর্ম পরিধান করা পুলিশের পাশে অস্ত্রধারীদের অবস্থান করতে। পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে সেসব ছবি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। পোস্তগোলা এলাকায় সংঘর্ষের সময় সে সময় এ ছবিটি তোলেন দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল নামে একটি পত্রিকা এবং অনলাইনের ফটোগ্রাফার শাহনেওয়াজ সুমন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মি: সুমন বলেন, "হঠাৎ দেখা গেল যে লুঙ্গি কাঁধে এক ব্যক্তি বেরিয়ে আসলো। তাকে আমরা ১৫-২০ মিনিটের মতো সেখানে দেখেছি।... প্রাচীরের পাশ দিয়ে সে হঠাৎ করে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসে।" ইউনিফর্ম পরা কয়েকজন পুলিশ সদস্য জাঙ্গিয়া পরা সে ব্যক্তিকে বারবার পুলিশ ব্যারাকের দিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। ফেসবুকে ছবিটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশের দিক থেকে জানানো হয়, জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি পুলিশের সদস্য। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সে ব্যক্তির নাম এবাদত। তিনি কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কনস্টেবল। শ্রমিকদের হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান ঢাকার পুলিশ সুপার। পুলিশ বলছে, শ্রমিকরা যখন পুলিশ সদস্য এবাদতের উপর আক্রমণ করে তখন তিনি নিজেকে রক্ষা করতে অন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে ছুটে আসেন। শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হবার আগে কনস্টেবল এবাদত ঘটনাস্থলের পাশে একটি ক্যাম্পে বিশ্রামরত অবস্থায় ছিলেন। শ্রমিকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যখন পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তখন কনস্টেবল এবাদত ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসলে শ্রমিকরা তার উপর আক্রমণ করে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে তিনি ইউনিফর্ম ছাড়াই চলে আসেন - এমন কথা বলছে পুলিশ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন মাকে মিষ্টি দেওয়ায় বাবাকে প্রহার, গ্রেপ্তার ছেলে যৌন হয়রানির প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল পরিবহন ধর্মঘটে রাস্তায় অটোরিকশাও চলতে পারছে না কেন হিন্দুত্ব বিরোধী বই বাদ দিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কেন বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় শমসের মবিন চৌধুরী
ফেসবুকে একটি ছবি গত কয়েকদিন ধরে বেশ ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের মাঝখানে অস্ত্র হাতে বর্ণিল জাঙ্গিয়া পরিধান করা এক ব্যক্তি দৌড়চ্ছেন কিংবা দাঁড়িয়ে আছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ওয়াশিংটন থেকে দুজন কিউবান কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে ওয়াশিংটন থেকে দুজন কিউবান কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার কারণ হিসেবে হাভানাতে থাকা কয়েকজন মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তার রহস্যময় শারীরিক সমস্যাকে তুলে ধরা হচ্ছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুরেট বলছেন, গত বছরের শেষ দিকে বেশ কিউবায় থাকা কয়েকজন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা কানে কম শুনতে থাকেন। তাদেরকে তখন জোর করেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মার্কিন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এপি-কে এর কারণ হিসেবে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে তাদের সন্দেহ যে, কিউবার গোয়েন্দা সংস্থা হয়তো এমন কোনো যন্ত্র সেইসব কর্মকর্তার বাসায় বা কর্মস্থলের কাছাকাছি ব্যবহার করেছিল যার কারণে তাদের এমন শ্রবণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সেসব যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ প্রবাহ হয়ে এমন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। মিজ নুরেট আরো জানান, যদিও সেসব সমস্যা প্রাণঘাতী নয়, তবু মার্কিন কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। আর এই বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত দুই কূটনীতিকের বহিষ্কারের বিষয়ে কিউবা সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি ভারতে নারীরা কেন মাঝরাতে তোলা ছবি শেয়ার করছে
দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা কিউবার সাথে মার্কিন বৈরি সম্পর্কের উন্নতি যেখানে শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে, সেই সম্পর্কে আবারো অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এক রহস্যময় কারণে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সিটের প্রধান দাবি আসবে ২০-দলীয় জোট থেকে তবে রোববারই বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে, শরীকদের সাথে জোটবদ্ধ-ভাবেই তারা নির্বাচন করবে। কিন্তু আসন ভাগাভাগির সমীকরণ কি দাঁড়াতে পারে? কতটা কঠিন হতে পারে সেই ভাগযোগ? কতটা ছাড়া দিতে প্রস্তুত বিএনপি? জোটবদ্ধ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এবার বিএনপিকে জটিলতর এক জোট-রাজনীতি সামাল দিতে হবে। কারণ, পুরনো ২০-দলীয় জোটের পাশাপাশি এখন তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আরেকটি ভিন্নধর্মী জোটের অংশ। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে বলেছেন, শরীক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক কিছু আলোচনার ভিত্তিতে তাদের দল মনে করছে, শরীকদের ৫০ থেকে ৬০টি আসন দিতে হতে পারে। বিএনপির শীর্ষ একজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ড কামাল হোসেনের জোটের কাছ থেকে আসনের জন্য ততটা চাপ তাদের ওপর নেই। এমনকি ড কামাল হোসেন নিজেও নির্বাচন করতে ততটা আগ্রহী নন বলেই বিএনপির মনে হয়েছে। বিএনপির ঐ নেতা বলেন, বিএনপি চাইছে ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতাকে দলের নিরাপদ কয়েকটি আসনে প্রার্থী করে জিতিয়ে আনতে। জানা গেছে, ড হোসেনকে ফেনী বা দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার একটি আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করা হতে পারে। জাতীয় ঐক্যফন্টের কাছ থেকে আসনের প্রধান দাবিদার হতে পারে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। তারা তিনটি আসনে চাইতে পারে বলে বিএনপি মনে করছে। এছাড়া, সাবেক আওয়াম লীগ নেতা সুলতান মনসুর সিলেটে তার এলাকায় একটি আসন চাইছেন। অন্যদিকে গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির সূত্র বলছে, আসনটি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের হওয়ায় তা নিয়ে কিছুটা জটিলতা বাঁধতে পারে। তবে বিএনপি সূত্রে বলছে, আসনের প্রধান দাবি আসবে ২০দলীয় জোটের শরীকদের কাছ থেকে, প্রধানত জামায়াতে ইসলামির কাছ থেকে। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের প্রার্থীরা এবার তাদের দলের পরিচয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না। ড কামাল হোসেনকে (বামে) নিরাপদ আসনে প্রার্থী করতে চায় বিএনপি বিএনপি নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বড় কোনো সঙ্কটের আশঙ্কা তাদের নেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও মনে করছেন, আসন নিয়ে বড় কোনো জটিলতা এড়িয়ে চলতে চাইবে বিএনপি। সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিবিসিকে বলেন, বিএনপির সামগ্রিক মনোভাব এবার আপোষের। "তাদের প্রধান লক্ষ্য এই নির্বাচনের ভেতরে দিয়ে দলকে সংঘবদ্ধ করে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া, সুতরাং সর্বোচ্চ আপোষে তারা যাবে বলেই মনে হয়। কষ্ট হবে, সমস্যা দেখা দেবে, কিন্তু বিভেদ তৈরি হবে না।" রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরীও মনে করেন, দরকষাকষি হবে, কিন্তু জটিলতা আয়ত্তের বাইরে যাবেনা। তিনি বলেন, বিএনপি নিশ্চিতভাবে জিতবে, এমন আসন শরীকরা দাবি করলে, জটিলতা তৈরি হতে পারে। "তবে বিএনপি এবার সবকিছুতেই আপোষ করছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়ই তারা নির্বাচনে যাচ্ছে। অন্য কিছু নিয়ে জোটের ভাঙন তারা চাইবে না।" জামায়াতের প্রার্থীদের প্রতীক প্রশ্নে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা কী হবে জামায়াতের প্রার্থীদের ভোটের অঙ্কের বিবেচনায় বিএনপির প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শরীক জামায়াতে ইসলামী। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, কিন্তু জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় নূতন এক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, ভোটারদের ভেতর বিভ্রান্তি এড়াতে বিএনপি চাইছে তাদের শরীকরা সবাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করুক। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাছাড়া, জামায়াত নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক দিলে ড কামালের জোটের নেতাদের একই প্রতীক নিতে রাজী করানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। প্রতীকের এই বিষয়টি কীভাবে সুরাহা হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করছে বিরোধী দল বিএনপি।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবারে মনোযোগ দেয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। ল্যানসেটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে দৈনন্দিন যে খাদ্য তালিকা সেটিই ধূমপানের চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য এই ডায়েট বা খাবারই দায়ী। যেমন ধরুন লবণ- তা রুটি, সস বা মাংস- যেটার সাথেই দেয়া হোক না কেন -এটিই জীবনের আয়ু কমিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা শুধু মাত্র স্থূলতার বিষয়ে নয় বরং দেখা হয়েছে কিভাবে নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস (পুওর কোয়ালিটি) হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে বা ক্যান্সারের কারণ হচ্ছে। কেন কিছু খাবার পছন্দের আর কিছু অপছন্দের? জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব নি:শ্বাসের মাধ্যমে জানা যাবে কোন খাবার খেতে হবে কোন ধরণের শর্করা কতটুকু খাওয়া উচিত? কোন খাবার নিয়ে চিন্তার কারণ আছে? দ্যা গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ যেখানে দেখা হয়েছে কিভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিপদজনক খাদ্য হিসেবে যেসব উপাদানের কথা বলা হচ্ছে : ১. অতিরিক্ত লবণ- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ ২. কম দানাদার শস্য খাওয়া- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ ৩. ফলমূল কম খাওয়া- ২০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ এছাড়া বাদাম, বীজ, শাক-সবজী, সামুদ্রিক থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ এবং আঁশ জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম হওয়াটাও মৃত্যুর বড় কারণগুলোর অন্যতম। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার মুরে বিবিসিকে বলছেন, "ডায়েটকেই আমরা স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান পরিচালক হিসেবে পেয়েছি। এটা সত্যিই অনেক গভীর।" লবণ অনেক খাবারের সাথেই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিভাবে মানুষকে হত্যা করছে? এক কোটি দশ লাখ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর মধ্যে এক কোটির মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় যা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্টে ও রক্ত বহনকারী ধমনীর ওপর লবণের প্রভাব পড়ে সরাসরি যা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের ঝুঁকি তৈরি করে। সঠিক ডায়েট থেকে কত দূরে বিশ্ব? আমরা কি সঠিক খাবার সঠিক পরিমাণে খাচ্ছি- এটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার দিনে ২৫ গ্রাম খাওয়ার কথা বলা হলেও গড়ে মানুষ খাচ্ছে মাত্র ৩ গ্রাম। আবার দুধ খাওয়া উচিত ৪৪৩ গ্রাম অথচ মানুষ গ্রহণ করছে ৭১ গ্রাম। একই ভাবে দানাদার শস্য জাতীয় খাবার ১২৬ গ্রামের জায়গায় ২৯ গ্রাম খাচ্ছে। অথচ লাল মাংস ২২ গ্রাম খাওয়া উচিত হলেও সেটি খাচ্ছে ২৭ গ্রাম, লবণ ৩.২ গ্রামের ওপর খাওয়া উচিত নয় কিন্তু সেটি গ্রহণ করছে ৬ গ্রাম আর প্রক্রিয়াজাত মাংস ২.১ গ্রামের স্থানে ৪ গ্রাম। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বেশি বাদ যাচ্ছে তা হলো - বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিতা ফরোউহি বলছেন, ধারণা করা হয় যে এসব খাবারের ছোট একটি প্যাকেটে একজনকে মোটা বানাতে পারে অথচ এগুলো সব ভালো ফ্যাটে ভর্তি। আর বেশিরভাগ লোকই এটাকে প্রধান খাবার ভাবতে পারেনা, তিনি বলেন। রেড মিট বা লাল মাংস আর প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবছর অনেক সংবাদ হয়। প্রফেসর মারে বলছেন, কিন্তু সেটা শস্য, দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল কম খাওয়ার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষকরা তাই মনে করছেন, স্বাস্থ্য নিয়ে যারা সচেতনতা তৈরি করেন তাদের চর্বি কিংবা সুগারের কথা কম বলে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বেশি বলা উচিত। খারাপ ডায়েট মানুষের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে এটি এখন গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে বলে বলছেন গবেষকরা। ভালো থাকার জন্য বাদাম জাতীয় খাবার গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দেশ ভালো করছে? ফ্রান্স, স্পেন এবং ইসরায়েলের মতো কিছু দেশ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। আর দক্ষিণ পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার চিত্র উল্টো। ইসরায়েলে যেখানে প্রতি এক লাখে এ ধরণের মৃত্যুর হার মাত্র ৮৯, সেখানে উজবেকিস্তানে ৪৯২ জন। তবে প্রফেসর মারে বলছেন, জাপানে আগে ব্যাপক লবণ খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও সেটি এখন নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। তবে চীনারা প্রচুর পরিমাণে লবণ খায় এবং খাদ্য তালিকায় লবণ দিয়ে সস বেশি পছন্দ করে তারা। আর যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে এখনো ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামের পেছনে আছে। তবে এজন্য ফলমূল বা দানাদার ও শস্যজাতীয় খাবারের স্বল্পতাও কম দায়ী নয়। দেশটিতে ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যু প্রতি লাখে ১২৭ জন। বেশি লবণ ব্যবহার করে তৈরি খাবার। কোনো পরামর্শ? প্রফেসর মারে বলছেন, "কোয়ালিটি ডায়েট হলো আসল কথা, আপনার ওজন কতো সেটা এখানে বিবেচ্য নয়।" তিনি সবজি, আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল খাওয়া বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় বিষয় হলো টাকা। প্রফেসর ফরউহি বলছেন, লোকজন জানলে আর রিসোর্স থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে পারে। তবে তারা দুজনই একমত যে ফ্যাট, সুগার বা সল্ট এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে মানুষের উচিত ভালো খাবারের দিকে মনোযোগ দেয়া।
ডায়েটের কারণেই প্রতি পাঁচ জনে একজনের জীবনের আয়ু কমে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু খাবারের কারণেই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এই ছিদ্রটি সেখানে কিভাবে তৈরি হলো সেটা এখনও একটা রহস্য। তার মধ্যেই রাশিয়ায় বেসামরিক মহাকাশ সংস্থার প্রধান বলেছেন, ড্রিল মেশিন দিয়ে এই ছিদ্রটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করা হয়ে থাকতে পারে। সয়ুজ মহাকাশ যানের ক্রু সদস্যরা গত বুধবার যানটির গায়ে এই ছিদ্রটি দেখতে পায়। টেপ লাগিয়ে তারা এই ছিদ্রটি বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করছে। ছিদ্রটির কারণে মহাকাশ যানের ভেতরে চাপ সামান্য কমে গেছে। রুশ সংস্থাটির প্রধান দিমিত্রি রগোজিন বলেছেন, "এভাবে আরো কয়েকটি ছিদ্র করার চেষ্টা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, "ছিদ্র দেখে বোঝা যাচ্ছে কাঁপা কাঁপা হাতে ছিদ্রটি করা হয়েছে।" আগে ধারণা করা হয়েছিল মহাকাশে ভাসমান ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোন পাথর যা এক মাইক্রোমিটারের মতো বড়, কিম্বা মহাকাশের কোন অরবিটাল বর্জ্যের আঘাতে এই ছিদ্রটি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু রুশ মাহাকাশ সংস্থা সেই আশঙ্কা বাতিল করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বর্তমান ছ'জন ক্রু সদস্য অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আমেরিকান, দুজন রুশ এবং একজন জার্মান। মি. রগোজিন বলছেন, যে এই ছিদ্রটি করেছে আমরা সেই দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এজন্যে একটি কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, রুশ যে কোম্পানি এই সয়ুজ মহাকাশ যানটি তৈরি করেছে এই ঘটনা তাদের জন্যে একটি 'সম্মানহানির' ব্যাপার। ছিদ্রটি সয়ুজ মহাকাশ যানের এমন একটি অংশে করা হয়েছে যা নভোচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সময় ব্যবহার করা হবে না। আরো পড়তে পারেন: সমকামিতা ভারতে আর অপরাধ নয়: সুপ্রিম কোর্ট পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বরফ গলবে? 'ভাঁজ করার' স্মার্টফোন বাজারে আনছে স্যামসাং? মহাকাশ যানের গায়ে ছিদ্র তৈরি হওয়ার এই ছবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়ায় মহাকাশ শিল্পের একটি সূত্র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছেন কাজাখস্তানের বাইকোনর কসমোড্রোমে পরীক্ষার সময় এই মহাকাশ যানটির ক্ষতিসাধন হয়ে থাকতে পারে। তারপর প্রাথমিক পরীক্ষার পর এই ত্রুটি হয়তো ঢেকে রাখা হয়েছিল। "কেউ হয়তো এরকম একটা কিছু করে ফেলেছে। তারপর ভয়ে ওই ছিদ্রটা ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছে," ওই সূত্রটির জল্পনা এরকমই, "যেটি দিয়ে ছিদ্রটি বন্ধ করা হয়েছিল সয়ুজ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পৌঁছানোর পর সেটি শুকিয়ে হয়তো খুলে পরে গেছে।" কিন্তু মি. রগোজিন, যার বক্তব্য টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে, তিনি বলেছেন: "তৈরি করার সময় এই ত্রুটি ছিল নাকি পূর্বপরিকল্পিত- সেটা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। কিন্তু এখানে আরো একটা বিষয় আছে যেটা আমরা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছি না।" কি সেটা? "মহাকাশে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই হামলা করেছে কিনা!"
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নোঙর করে রাখা একটি মহাকাশ যানে ছোট্ট একটি ছিদ্র দেখা যাওয়ার পর এনিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো এখন রোগীতে সয়লাব এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা এখন ১০ হাজার ৮৬৯। নতুন করে যারা মারা গেলেন তাদের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ আর ২৬ জন নারী। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার পথে, আর বাকি সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্যদিকে এ সময়ে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩,৬২৯ জন। দেশে শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি একশ নমুনায় শনাক্তের হার গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৪ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫,২২৫ জন এবং এ সময়ে মোট ২৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৩৪৯টি পরীক্ষাগারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়েছে বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরেই মৃত্যুর সংখ্যা একশ'র বেশি বা এর কাছাকাছি হয়ে আসছিলো। সবশেষ বৃহস্পতিবারেও ৯৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আগে টানা চারদিন পর মৃতের সংখ্যা একশর নিচে নেমে এসেছিলো বিশে এপ্রিল, সেদিন ৯১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিলো। সবশেষ তথ্য বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল। তবে এবছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই গেমিং এ বেশি আসক্ত ১১তম ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি-তে এটিকে 'গেমিং ডিজঅর্ডার' হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত খসড়া দলিলে এই গেমিং আসক্তিকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক ধরণের আচরণ হিসেবে, যা জীবনের আর সব কিছুর আকর্ষণ থেকে একজনকে দূরে সরিয়ে নেয়। বিশ্বের কিছু দেশে গেমিং আসক্তিকে ইতোমধ্যে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সহ কিছু দেশে তো ইতোমধ্যে এর চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট এডিকশন ক্লিনিক পর্যন্ত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সালে সর্বশেষ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি তৈরি করেছিল। নতুন গাইডলাইনটি প্রকাশিত হবে এ বছরই। এই গাইডে বিভিন্ন রোগের কোড, লক্ষণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। চিকিৎসক এবং গবেষকরা এটির সঙ্গে মিলিয়ে রোগ নির্ণয়ের করার চেষ্টা করেন। গেমিং আসক্তিকে কখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করা হবে, তার বিস্তারিত থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গাইডলাইনে। শিশুরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এতে বলা হয়েছে, ১২ মাস সময় ধরে অস্বাভাবিক গেমিং আসক্তি বা আচরণ দেখা গেলে তা নির্ণয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে যদি অস্বাভাবিক আচরণের মাত্র অনেক বেশি তীব্র হয়, তখন ১২ মাস নয়, তার আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যেসব লক্ষণের কথা এতে উল্লেখ করা হয়েছে: •গেমিং নিয়ে নিজের ও্রপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ( বিশেষ করে কত ঘন ঘন, কতটা তীব্র এবং কত দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করছে, সে বিষয়ে) •গেমিং-কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া •নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও গেমিং অব্যাহত রাখা বা আরও বেশি গেমিং করা লন্ডনের নাইটিংগেল হাসপাতালের টেকনোলজি এডিকশন স্পেশালিস্ট ড: রিচার্ড গ্রাহাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। "এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে আরও বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে এ ধরণের গেমিং আসক্তিকে লোকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।" তবে যারা গেমিং আসক্তিকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসেবে দেখার বিপক্ষে, তাদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। গেমিং এর নেশা ঠেকাতে অনেক দেশে আইন করতে হয়েছে তিনি স্বীকার করছেন যে অনেক বাবা-মা এ নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কেবল গেমিং এ উৎসাহী বলে সন্তানদের তারা 'অসুস্থ' বলে ভাবতে পারেন। ড: রিচার্ড গ্রাহাম জানান, বছরে তিনি ডিজিটাল আসক্তির প্রায় ৫০টির মতো কেস দেখেন। এই আসক্তির কারণে এদের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, সামাজিক মেলা-মেশা এবং শিক্ষার ওপর কি প্রভাব পড়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে আসক্তির সমস্যার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করা হয়। রোগী দেখার সময় একটা জিনিসকেই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। এই গেমিং আসক্তি 'নিউরোলজিক্যাল সিস্টেম'কে কতটা প্রভাবিত করছে। এটি চিন্তার ক্ষমতা বা নিবিষ্ট থাকার ক্ষমতার ওপর কি প্রভাব ফেলছে। বিশ্বের অনেক দেশই গেমিং এর আসক্তি নিয়ে চিন্তিত। দক্ষিণ কোরিয়ায় তো সরকার এমন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা মধ্যরাত হতে ভোর ছটা পর্যন্ত অনলাইন গেম খেলতেই না পারে। জাপানে কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি গেম খেলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চীনে সেখানকার সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট শিশুরা কতক্ষণ গেম খেলতে পারে তার সময় বেঁধে দিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, শিশুরা যদিও প্রচুর সময় স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে কাটায়, কিন্তু তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এই ডিজিটাল জগতকে ভালোই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই ভিডিও গেম খেলায় বেশি সময় দেয়। গবেষণক কিলিয়ান মুলান বলেন, "মানুষের ধারণা শিশুরা দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা স্ক্রীনের সামনে বসে থাকছে, আর কিছু করছে না। আসলে তা নয়। আমাদের গবেষণায় আমরা দেখছি, তারা প্রযুক্তিকে নানা কাজে ব্যবহার করছে। এমনকি স্কুলের হোমওয়ার্ক করার জন্যও তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।" "আমরা বড়রা যেভাবে করি, অনেকটা সেভাবে শিশুরাও আসলে তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারটা সারাদিন ধরেই অন্য অনেক কিছুর ফাঁকে ফাঁকে করছে, একবারে নয়।"
কম্পিউটারে গেম খেলার প্রতি নেশাকে এই প্রথম একটি মানসিক রোগ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেলের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল তিনি বলছেন, ''একজন ফটোসাংবাদিক হিসাবে আমাদের অনেক স্থানে দ্রুত যেতে হয়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলতে হয়। মোটরসাইকেল নিয়ে যত সহজে, ছোটখাট অলিগলিতে যেতে পারি, গাড়ি নিয়ে সেটা কখনোই সম্ভব না।" "হয়তো আমি যেতে যেতেই ঘটনা শেষ হয়ে যাবে। তাই ফটোসাংবাদিকদের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে না পারলে কাজে খুব সমস্যা হবে।'' তার মতো চিন্তায় পড়েছেন বাংলাদেশের আরো অনেক সাংবাদিক ও সাধারণ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী। জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মোটর সাইকেল। কারণ বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় টানা তিনদিন মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ৩০শে ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু করে দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত বেবি ট্যাক্সি বা অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, ইজিবাইক বা স্থানীয় পর্যায়ের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে মোটরসাইকেলের ওপর খড়গ পড়ছে আরো বেশি। নির্বাচনের আগে পরে, অর্থাৎ ২৮শে ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ মধ্যরাত ১২টা থেকে ১লা জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকছে। এমনকী সাংবাদিকরাও বিশেষ কোনো ছাড় পাবেন না। যদিও প্রার্থী বা তাদের এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকদের মতো পেশাদারি কাজে অন্য যানবাহনের জন্য বিশেষ স্টিকার দেয়া হবে কমিশনের পক্ষ থেকে, কিন্তু মোটারসাইকেল এই স্টিকার পাবে না। আরো পড়তে পারেন: 'পর্যবেক্ষণ এইভাবে কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি' খুলনা-২: তরুণ ভোটারদের চিন্তা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে "বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে দমনমূলক পরিবেশ" যানবাহন চলাচল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র সংকটে সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে চলেছেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। পেশাগত কাজে ঢাকা এবং বাইরের শহর গুলোয় মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের বেশিরভাগই খবর সংগ্রহের কাজে মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। ফলে নির্বাচনের সময় এই বাহনটি ব্যবহারের সুযোগ না পেলে তা তাদের কাজ বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করবে বলেই সাংবাদিকরা আশঙ্কা করছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোর সময় মোটরসাইকেলের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে অনুমতিসূচক স্টিকার বরাদ্দ করা হলেও, এবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে, মোটরসাইকেলের জন্য কোন স্টিকার দেয়া হবে না। রাজশাহীর সাংবাদিক আনোয়ার আলী বলছেন, ''মোটরসাইকেলে করে যেকোনো ঘটনাস্থলে আমরা দ্রুত যাতায়াত করতে পারি। কোন খবর পেলে দ্রুত ছুটে যেতে পারি।" "কিন্তু তিনদিন ধরে এই বাহনটি বন্ধ রাখা হলে আমাদের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। তখন কোন ঘটনার খবর জানা গেলে সঙ্গে সঙ্গে হয়তো সেখানে যেতো পারবো না। অন্যদের কথা শুনে লিখতে হবে। '' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ইন্দোনেশিয়ার সুনামি সিগারেটের টাকা বকেয়া রেখে গেছেন রানী ভিক্টোরিয়ার কন্যা অফিসে কাজ না করেও তারা ভালো কর্মী? 'ভোটে লড়তে পারবেন জামায়াতের নেতারা' তিনি জানান, বরাবরই তারা নির্বাচনের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহার করে আসছেন। এবারই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে অনেক স্থানের স্থানীয় সাংবাদিকরা কয়েকজন মিলে নির্বাচনের দিন গাড়ি ভাড়া করে দায়িত্ব পালনের পরিকল্পনা করছেন। যেমন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সাংবাদিক আব্দুস সবুর বলছেন, "মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যাবে না শুনে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক মিলে গাড়ি ভাড়া করেছি। সেটায় করে একত্রে যাতায়াত করতে হবে।" ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তবে এভাবে গাড়িতে করে দুর্গম এলাকাগুলোয় যাতায়াত যেমন কঠিন, তেমনি কোন সহিংসতা বা অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে বিভিন্ন কেন্দ্রে যাওয়াও সময়সাপেক্ষ হবে বলে তারা মনে করছেন। চাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক আলম পলাশ বলছেন, "মোটরসাইকেল বন্ধ থাকলে আমাদের কাজে চরম সমস্যা হবে। এখানে অনেক আসনে সমস্যা হতে পারে।" "হয়তো রাস্তাঘাট বন্ধ থাকবে, সহিংসতা হলে গাড়ি নিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আবার অনেক দুগর্ম স্থানে গাড়ি নিয়ে যাওয়াও যায় না। আমরা খুব চিন্তায় পড়েছি যে কিভাবে কাজ করবো।" তিনি জানান, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তাদের জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছাড়া এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। ঢাকার একটি অনলাইন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক নাসিরুল ইসলাম বলছেন, ''খবরটি শোনার পর থেকেই আমি খুব চিন্তায় আছি। কারণ আমরা একদিনে তিন চারটা অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করি। অনেক স্থানে যেতে হয়।" "কিন্তু মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে না পারলে এই তিনদিনে হয়তো একটি অ্যাসাইনমেন্টের বাইরে আমি কাভার করতে পারবো না। ফলে এই তিনদিন ধরেই আমার চলাফেরা অনেক সীমিত হয়ে যাবে।" তিনি জানান, একটি দুর্ঘটনার খবর শুনলে গাড়িতে করে সেখানে যেতে যেতেই হয়তো আর কোন ছবি তোলার মতো অবস্থা থাকবে না।' সংসদ নির্বাচন: পর্যবেক্ষকরা কী করেন? ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষজন টানা তিনদিন মোটরসাইকেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন শহর ও গ্রাম এলাকাগুলোর সাধারণ অনেক মানুষজন, যাদের পেশা বা ব্যক্তিগত কারণে মোটরসাইকেলে করে যাতায়াত করতে হয়। ঝালকাঠির বাসিন্দা তৈমুর আলম বলছেন, ''আমার পারিবারিক এবং ব্যবসার কাজে চলাফেরার জন্য পুরোপুরি মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসার কাজে আমাকে প্রতিদিনই শহরের বাইরে যেতে হয়।" "নির্বাচনের দিন চালাতে পারবো না জানি। কিন্তু আগের পরের দুইদিন চালাতে নিষেধাজ্ঞা থাকা মানে অনেকটা আমার পা বেধে ঘরে বসে থাকার মতো হবে। কারণ বাইক ছাড়া তো আমি ব্যবহার কোন কাজেই যেতে পারবো না।'' তবে রাজশাহীর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলছেন, যদিও তিনি সবসময়ে মোটরসাইকেলে করেই চলাফেরা করেন, তবে দেশের স্বার্থে কয়েকদিন কষ্ট করতে রাজি আছেন। তিনি বলছেন, ''তিনদিন মোটরসাইকেল বন্ধ থাকবে, তাতে একটু কষ্ট হলেও, দেশের স্বার্থে আমি সেটা ম্যানেজ করে নেবো।'' সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের এসব বিধিনিষেধে সাংবাদিকদের কাজে কতটা প্রভাব পড়বে? ফেসবুকে বিবিসি নিউজ বাংলার পাতায় জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। আহসানুল হক সুমন মন্তব্য করেছেন, "আমি একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে মনে করি এটি আমাদের কাজে কিছুটা হলেও বিঘ্ন ঘটাবে। নির্বাচন কাভার করতে অনেক দুর্গম এলাকায় যেতে হয়, যেখানে গাড়িতে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা সংবাদ কাভার করবে কিভাবে ????" তার জবাবে একজন মন্তব্য করেছেন, সেই জন্যই তো মোটরসাইকেল নিষেধ। তবে মোহাম্মদ শরিফুজ্জামানের মত ভিন্ন। তিনি লিখেছেন, "আমি মনে করি না, এসব বিধিনিষেধ সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যেহেতু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছ, তাই সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কমিশনকে নানাধরনের পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।" আবদুল হালিম চৌধুরী লিখেছেন, "সাংবাদিকদের স্বাভাবিক কাজ অবশ্যই বাধাগ্রস্ত হবে। তবে আজকাল আবার সাংবাদিকের চেয়ে সাংঘাতিকের সংখ্যা বেশি। এটা বিবেচনায় নিলে ঠিকই আছে।"
ঢাকার একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের ফটোসাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান আগে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন কাভার করেছেন, ছবি তুলেছেন। কিন্তু এবার তিনি বুঝতে পারছেন না, কতটা ভালোভাবে নির্বাচনটি তিনি কাভার করতে পারবেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
'গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না' লেখা টি-শার্টের প্রচারণা সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ঢাকার একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক নারীদের পোশাক ও অলঙ্কার তৈরির প্রতিষ্ঠান এই ডিজাইনের টি-শার্টটি তৈরি এবং বাজারজাত করেছে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের একজন এবং টি-শার্টের ডিজাইনার জিনাত জাহান নিশা বিবিসিকে বলেন, গণপরিবহনে নিজের সাথে হওয়া হয়রানিমূলক ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবেই এ ধরণের পণ্য তৈরি করার চিন্তা আসে তার মাথায়। "কয়েকবছর আগে পাবলিক বাসে একবার যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলাম।" মিজ. নিশা জানান, একজন বয়স্ক ব্যক্তির দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর বাসেই প্রতিবাদ করেন তিনি, কিন্তু সেসময় সেখানে উপস্থিত মানুষজন তাকে সহায়তা না করে উল্টো প্রতিবাদ থামানোর জন্য তাকে চাপ দেন। "নিজে হয়রানির শিকার হওয়ার পরও প্রতিবাদ করতে না পারা এবং উপস্থিত মানুষজনকে অন্যায়কারীর পক্ষ নিতে দেখে সেদিন খুবই অপমানিত হয়েছিলাম।" ঐ ঘটনার আগেও যৌন হয়রানির শিকার হলেও সেবারের ঘটনা তার ওপর অন্যরকম প্রভাব ফেলেছিল বলে জানান মিজ. নিশা। এর পরপরই প্রতিবাদ হিসেবে 'গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না' লেখা একটি খোঁপার কাঁটা তৈরি করেন এবং তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাজারে ছাড়েন মিজ. নিশা। "ছবি আঁকা, ডিজাইন করার মত কাজগুলোর মাধ্যমেই আমি আমার অনুভূতি শেয়ার করি এবং হালকা বোধ করি।" আরো পড়তে পারেন: আগুনে মাদ্রাসা ছাত্রীর 'শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে' পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব চান নেতানিয়াহু প্রথমে হাতির পায়ের নিচে, পরে সিংহের পেটে যেভাবে ১০০ দিনে ৮ লাখ মানুষ হত্যা করা হয় এই প্রচারণার প্রতিক্রিয়ায় অধিকাংশ মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করলেও অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। খোঁপার কাঁটাটি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে বাজারে ছাড়া হলেও এই পণ্যের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানান মিজ. নিশা। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার অধিকাংশ নারীই তাদের সাথে ঘটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন না। ঐ নারীদের জন্য প্রতিবাদের একটি মাধ্যম হিসেবে গত বছর নববর্ষের আগে খোঁপার কাঁটাটি বাজারে ছেড়েছিলেন বলে জানান তিনি। খোঁপার কাঁটাটি বাণিজ্যিক সফলতা না পেলেও ঐ পণ্য সম্পর্কে দারুণ ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় এবছরেও একই বার্তা সম্বলিত পণ্য বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেন বলে জানান মিজ. নিশা। "বাংলাদেশে ভিড়ের বাসে নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ।" তিনি বলেন, "বাসে ভিড়ের মধ্যে গায়ের সাথে ধাক্কা লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই ভিড়ের সুযোগটা নেন, যার প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।" মিজ. নিশা বলেন, বাসে অনেক পুরুষের সাথেই ছোঁয়া বা ধাক্কা লাগলেও সেসব পুরুষের মধ্যে কারা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেন তা একজন নারী সহজেই বুঝতে পারেন। "বাসে পুরুষদের সাথে ধাক্কা লাগলে বা তারা আমার গা ঘেঁষে দাঁড়ালে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দেশে ভিড়ের বাসে সেরকম হতেই পারে। কিন্তু অনেকেই সেই অবস্থার সুযোগ নিতে চান, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।" ফেসবুকে যেরকম প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে 'গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না' লেখা টি-শার্টের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এনিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকে, আবার অনেকেই এর সমালোচনা করছেন। মোস্তাফিজুর নূর ইমরান নামের একজন এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন , "লোকে তো অনেক কিছু্‌ই বলবে, লোকের কাজই বলা। এগিয়ে যাও।" অনেকে প্রশংসা বা অনুপ্রেরণা দিয়ে মন্তব্য করলেও নেতিবাচক মন্তব্য করা মানুষের সংখ্যাই বেশি বলে মনে করেন মিজ. নিশা। নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের অধিকাংশই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারীদের টি-শার্ট পরার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। অনেকেই বলেছেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নারীদের এমন পোশাক পরা উচিত নয়। করিম নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, "মানুষের কমেন্টগুলো দেখুন। আপনাদের বোঝা উচিত এটা বাংলাদেশ।" অনেকেই ছবিগুলোকে বিক্রি বাড়ানোর কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু জিনাত জাহান নিশা জানান, বিক্রি বাড়ানোর পদ্ধতি বা আলোচনায় আসার কৌশল হিসেবে এই পণ্য তৈরি করেননি তারা। বাংলাদেশের গণপরিবহন, রাস্তাঘাটে নারীরা যেমন হয়রানির শিকার হন তার প্রতিবাদ হিসেবে বাজারে ছেড়েছেন এই পণ্য। "সামাজিক মাধ্যমে এই ছবিগুলো ভাইরাল করার উদ্যোগ কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। যারা এগুলো নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, ছবি বিকৃতভাবে এডিট করে ট্রল করছেন, তারাই এটিকে ভাইরাল করেছেন," বলেন মিজ. নিশা। তবে এভাবে সমালোচনা ছড়িয়ে পরার ফলে টি-শার্ট তৈরির উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করেন মিজ. নিশা। "যাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা সম্বলিত টি-শার্ট তৈরি করা, তাদের গায়ে ঠিকই লেগেছে এবং তারাই কিন্তু এর সমালোচনা করছেন।"
বাসে একজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন যার গায়ে পরিহিত টি-শার্টে লেখা 'গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না' - এরকম কয়েকটি ছবি বাংলাদেশে গত কয়েকদিন যাবৎ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সোলেইমানির দাফনে তার নিজ শহর কেরমানে সমবেত হয়েছেন বহু মানুষ এছাড়া ঐ ঘটনায় কেরমানে আরো ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে কাসেম সোলেইমানির দাফনে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার নিজ শহর কেরমানে শোকের প্রতীক কালো কাপড় পড়া কয়েক লক্ষ মানুষ মানুষ জড়ো হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। দক্ষিণ পূর্বের শহর কেরমানে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোলেইমানিকে দাফন করা হচ্ছে। এর আগে তেহরানে তার জানাজায় লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল। ইতিমধ্যে এই হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেবার এবং রোববার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বাড়ানোর জন্য কাজের পেছনের প্রধান মানুষ ছিলেন। নিজ শহর কেরমানে সোলেইমানিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয় এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমবেতদের অনেকেই সোলেইমানির ছবি এবং ছবি সম্বলিত পোশাক পড়ে আসেন সবাই ভালো চোখে দেখে না সোলেইমানিকে কিন্তু ইরানের সব মানুষ একইভাবে সোলেইমানিকে ইতিবাচকভাবে দেখে না। তিনি কট্টরপন্থী ছিলেন এবং ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পেছনের মূল শক্তি হিসেবে দেখা হয় তাকে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি ব্রাউন জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানে যখন দারিদ্র্য বেড়ে যায়, সেসময় মি. সোলেইমানি লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় বিভিন্ন জোট গঠন এবং মিলিশিয়া বাহিনী তৈরির পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেন, লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী হেজবোল্লাকে সাহায্য করেন এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিপক্ষে দেশটির মিলিশিয়া বাহিনীর পরিচালনায় সহায়তা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে সন্ত্রাসী মনে করতো, এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর 'আসন্ন' হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তেহরানে কিভাবে শোক পালন হচ্ছে? ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, সোমবার তেহরানে সোলেইমানির জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে। বলা হয়েছে, 'দশ লক্ষের' বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে, যদিও এ সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর নিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং তাদের 'আমেরিকার মৃত্যু হোক' বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি জানাজা পরিচালনা করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। জানাজার পর, সোলেইমানির মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কেরমানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার আগে সেখানে আরেকটি জনসমাগম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা যেভাবে বাড়ছে ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে যাবার জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছিল জাভাদ জারিভ সোলেইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেবেন। কিন্তু ভিসা প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৪ সালে হওয়া এক চুক্তি লঙ্ঘন করছে, যেখানে বলা হয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যেকোন বিদেশী কর্মকর্তা যোগ দিতে পারবেন। এর আগে রোববার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা আর মেনে চলবে না। ওই চুক্তি ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে অনেকটাই কমাতে সক্ষম হয়েছিল, বিনিময়ে তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত ছিল। এই চুক্তির তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইরানের হুঁশিয়ারির জবাবে মি. ট্রাম্প বলেছেন সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাবে, আর তা 'হয়তো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না'। তিনি ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা চালানোর হুমকি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তেহরান যদি মার্কিন নাগরিক বা সম্পদে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও 'দ্রুত ও কঠোর' হামলা চালাবে।
ইরানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, নিহত সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির দাফনের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে আসা মানুষের মধ্যে পদদলিত হয়ে ৫০জন নিহত হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভিডিওটি কোন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে নাকি গোপন ক্যামেরা ব্যাবহার করে তোলা হয়েছে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ডিসি বা জেলা প্রশাসক মূলত একটি জেলার সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও, যেখানে একটি ছোট কামরায় একজন পুরুষ ও নারীকে শারিরীকভাবে মিলিত হতে দেখা যাচ্ছে, তারই জের ধরে ওই ডিসিকে তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডিতে পরিণত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রবিবার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন এবং বলেন এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখবার জন্য তারা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করতে যাচ্ছেন। "আমাদের চাকরির বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তার বিরুদ্ধে", সাংবাদিকদের বলছিলেন মি. হোসেন। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পরবর্তীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। "সমাজ পরিবর্তনের একজন মূল ব্যক্তি হিসেবে যার দায়িত্ব পালন করার কথা, তার এমন চারিত্রিক স্খলনজনিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকা প্রত্যাশিত নয়।" বলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। কী ছিল ভিডিওতে? কয়েকদিন আগে একজন পুরুষের সাথে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া পুরুষটিকে অনেকেই উল্লেখিত ডিসি বলে চিহ্নিত করেন। এবং যে কক্ষটি দেখা গেছে ভিডিওটিতে সেটিকে ডিসির কার্যালয় সংলগ্ন খাস কামরা বলে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশের অনেক সরকারি দপ্তরেই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য খাস কামরার বন্দোবস্ত আছে। ভিডিওর শেষ পর্যায়ে খাস কামরার বিছানায় দুজনকে শুয়েও থাকতে দেখা যায়। এসময় ভিডিওতে থাকা পুরুষটি সপূর্ণ নগ্ন ছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ শোরগোল তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সাংবাদিকেরা ওই ডিসির কাছে ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন করেন। ওই ডিসি তখন দাবী করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি তিনি নন। কিন্তু খাস কামরাটি তারই বলে স্বীকার করেন তিনি। এবার এই ভিডিওর জের ধরেই ডিসিকে ওএসডি করা হল। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে তিনিও যদি সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গারা আসার পর যেভাবে বদলে গেলো বিস্তীর্ণ ভূ-দৃশ্য রোহিঙ্গারা চিন্তিত বর্তমান নিয়ে, স্থানীয়রা ভবিষ্যত নিয়ে জাপানি তরুনেরা কেন পুতুল বিয়ে করছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি সেক্স টেপের জের ধরে বাংলাদেশের একজন জেলা প্রশাসককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর নাম দেয়া হয়েছে সার্স কোভিড ভিটু এ জেড ১২২২। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সিরাম ইন্সটিটিউটটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের কাছে ৩ কোটি ডোজ বিক্রির প্রস্তাব ছিল। এই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটির ভারতের উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট। ভ্যাকসিন কীভাবে বিতরণ করা হবে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সে অনুযায়ীই বিতরণ করা হবে। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম জানা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মি. ইসলাম বলেন, এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেয়া হবে। "মানুষ তো পয়সা দেবে না, মানুষকে বিনা পয়সায় দেয়া হবে। যে ভ্যাকসিন আসতেছে সেটা বিনা পয়সায় দেয়া হবে।" বলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তবে কত দামে এই ভ্যাকসিনগুলো কেনা হবে সেটা ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে জানা যাবে না বলে জানানো হয়। আরো পড়ুন: গত ৫ই নভেম্বর টিকা আমদানি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সিরাম ইন্সটিটিউট এবং বেক্সিমকোর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায়ই ৩ কোটি টিকা আনা হবে। গত ১৬ই নভেম্বর ভ্যাকসিন আনার জন্য অর্থ-বিভাগ প্রাথমিক বরাদ্দ হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় ক্রয় চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য অর্থনীতি বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদে একটি প্রস্তাব পাঠানোরও কথা রয়েছে। বাংলাদেশের বেক্সিমকোর কর্মকর্তারা এর আগে বিবিসি বাংলাকে জানায়, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের জন্য আপাতত ৩ কোটি টিকা কেনা হবে। তবে বেসরকারি খাতের জন্য তারা এক মিলিয়ন বা দশ লক্ষ টিকার চাহিদা জানিয়েছেন। সব টিকাই আনা হবে বেক্সিমকোর মাধ্যমেই। এছাড়া মাস্ক ব্যবহারে এই সপ্তাহে অভিযান আরো কঠিন হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ৩ কোটি ডোজ টিকা জনগণকে বিনামূল্যে দেয়া হবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দার্জিলিংকে বলা হয় পাহাড়ের রানি। এই ট্রেনটি চালু হলে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে যেমন বাংলাদেশী পর্যটকরা বড় সংখ্যায় অনায়াসে আসতে পারবেন, তেমনই সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষদেরও বাংলাদেশ যেতে সুবিধা হবে। পর্যটন শিল্প এই ট্রেনটি নিয়ে আশাবাদী হলেও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় অথবা সিকিমের মানুষ কতটা এই ট্রেনে চেপে বাংলাদেশে আসতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কোনও ভিসা কেন্দ্র নেই, তাই ভারতীয় পর্যটকদের এই ট্রেনে চাপতে গেলে কলকাতায় গিয়ে ভিসা করিয়ে তারপরে শিলিগুড়ি ফিরে এসে ট্রেন ধরতে হবে। দার্জিলিং শহরের কেন্দ্রস্থল, ম্যাল। আরও পড়তে পারেন: শিলিগুড়ির অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলছিলেন, "আমরা তো আশা করছি এই নতুন ট্রেনে দু'দেশ থেকেই বহু মানুষ যাতায়াত করবেন, কিন্তু একটা সমস্যা হচ্ছে যে ভিসা করাতে যেতে হবে কলকাতায়। তারপর এখানে এসে ট্রেন ধরা যাবে।" কলকাতায় বাংলাদেশের উপ রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বিবিসিকে বলেছেন, "একবার শিলিগুড়িতে একটা ভিসা কেন্দ্র করার কথা উঠেছিল, কিন্তু তা নিয়ে আর এগুনো হয় নি। অতীতে কয়েকবার ভিসা শিবির সেখানে করা হয়েছিল - কিন্তু এখন মেশিন পাঠযোগ্য ভিসা হয়ে যাওয়ার ফলে বেশ ভারি যন্ত্র লাগে। সেগুলো বয়ে নিয়ে গিয়ে শিবির করা বোধহয় সম্ভব হবে না।" কিন্তু ভবিষ্যতে যদি ভিসা আউটসোর্সিং করে দেওয়া হয়, তাহলে একটা সমাধানের পথ বেরতে পারে বলে মনে করেন মি. হাসান। ভারত আর বাংলাদেশের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বড় স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি প্রথম ৮৪ কিলোমিটার পথ ভারতের মধ্যে দিয়ে আর বাকি ৪৪৬ কিলোমিটার পথ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যটকদের একটি মূল আকর্ষণ কেন্দ্র। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি হয়ে সীমান্ত পেরবে ট্রেনটি। তারপর বাংলাদেশের চিলাহাটি, নীলফামারী, পার্বতীপুর, হিলি, নাটোর ঈশ্বরদী আর টাঙ্গাইল হয়ে ট্রেন পৌঁছবে ঢাকায়। এনজেপি স্টেশন থেকে সোমবার আর বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়বে এবং রাত ১১টায় ঢাকা পৌঁছবে। ওই দিনই রাতে ঢাকা থেকে ফিরতি পথে ট্রেনটি ভারতের দিকে রওনা হবে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল এবং সিকিমে যারা পর্যটন শিল্পে সঙ্গে জড়িত, তারা এই নতুন রেলপথ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। হিমালয়ান হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলছিলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের সার্ক দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন আরও জনপ্রিয় করে তোলার কথা বলছিলাম নানা ফোরামে। এই ট্রেনটি সেই দিশাতেই এগোনর প্রথম ধাপ। দার্জিলিং-এর কাছে লামাহাট্টা এখন ট্যুরিস্টদের নতুন আকর্ষণ। "এমনিতেই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক সাম্প্রতিক কালে দার্জিলিং-ডুয়ার্স বেড়াতে আসেন। এর মধ্যে সিকিমেও বাংলাদেশী নাগরিকদের যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতদিন তাদের ফুলবাড়িতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আসতে হত। এখন তাদের অনেক সুবিধা হয়ে যাবে।" "ওদিক থেকে যেমন পর্যটক আসবেন, এদিক থেকেও বহু মানুষ বাংলাদেশ যেতে চান। তারাও এখন সরাসরি ঢাকায় পৌঁছে যেতে পারবেন। এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত," মন্তব্য মি. সান্যালের। পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও এখন বহু নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে দার্জিলিং পাহাড়ে এবং হোটেল ছাড়াও হোম-স্টে'র ব্যাপক প্রচলন হয়েছে। সিকিমের রুমটেক বৌদ্ধবিহার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তাই বহু বাংলাদেশী পর্যটক এই অঞ্চলে বেড়াতে আসছেন আজকাল - যদিও করোনা সংক্রমণের জন্য গতবছর প্রায় কেউই আসেন নি। আবার দার্জিলিং পাহাড় এবং সিকিমের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেও বাংলাদেশের সোমপুর মহাবিহার, মহাস্থানগড় এবং মুন্সিগঞ্জের বজ্রযোগিনী বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করেন রাজ বসু। তার কথায়, "এই অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে বোধগয়া বা নালন্দায় যান, সহজেই এখন তারা সোমপুর মহাবিহার বা মহাস্থানগড় - এসব বৌদ্ধ তীর্থ ক্ষেত্রে যেতে পারবেন। আবার অনেকেরই ইচ্ছা থাকে ঢাকার কাছে বজ্রযোগিনী গ্রামে অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান দেখে আসতে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো পরিচিত পর্যটন স্থানগুলো তো আছেই।" পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের বহু মানুষের পূর্বপুরুষ পূর্ববাংলা থেকেই চলে এসেছিলেন - কেউ চা বাগান, কেউবা রেলে চাকরি করতে। তাদের উত্তরপুরুষদের মধ্যে নিজের শেকড়ের খোঁজে বাংলাদেশ যাওয়ার ভালোরকম উৎসাহ আছে বলে মনে করেন মি. বসু। পর্যটকদের জন্য হোম-স্টের ধারণাটি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। "এছাড়া যাকে কালিনারি ট্যুরিজম বলা হয়, বাংলাদেশের নামকরা সব খাবার চেখে দেখতে বা সেখানকার মানুষদের যে আতিথেয়তার কথা আমরা শুনেছি, তার আস্বাদ নিতেও অনেকে সেদেশে যেতে চান। তাদের পক্ষেও সরাসরি ট্রেন অনেকটাই সুবিধা করে দেবে," বলছিলেন রাজ বসু। সম্রাট সান্যালের কথায়, "পর্যটন শিল্প তখনই সফল হয়, যখন দু'দিক থেকেই পর্যটক আসবেন বা যাবেন।" তাই এই নতুন ট্রেনে যাতায়াত দু'দেশের মানুষের কাছেই সুবিধাজনক করতে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা ব্যবস্থা করা আশু প্রয়োজন বলেই মনে করছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও একটি নতুন রেল পথ চালু হওয়ার কথা রয়েছে ২৬শে মার্চ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত ওই ট্রেন সপ্তাহে দু'দিন করে চলবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরণের যৌন সহিংসতা বন্ধ করবার চেষ্টা চালানো হলেও ধারাবাহিকভাবেই বিদেশী পর্যটকেরা যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে একজন টুরিস্ট গাইড, একজন গাড়িচালক, একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং একজন হোটেল কর্মী। গত এপ্রিল মাসে ভারত সফরের সময় দিল্লীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই পর্যটক এ মাসের গোড়ার দিকে ভারতে ফিরে আসেন ধর্ষিত হওয়ার প্রমাণ দিতে। তিনি বলেন, ওই হোটেলে অবস্থান করার সময় নেশার দ্রব্য খাইয়ে সেখানেই তাকে গণ-ধর্ষণ করে এই টুরিস্ট গাইড ও তার সহযোগীরা। ভারতে বেড়াতে আসা বিদেশী পর্যটকদেরকে যৌন হয়রানী করবার সাম্প্রতিকতম ঘটনা এটি। দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরণের যৌন সহিংসতা বন্ধ করবার চেষ্টা চালানো হলেও ধারাবাহিকভাবেই বিদেশী পর্যটকেরা যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে। আরও পড়ুন: 'যৌতুক এখন একটা বিজনেসের মতো করে ফেলেছে' ভারতে মুসলিম ক্রিকেটারের স্ত্রীর ছবি নিয়ে বিতর্ক জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে কেন হিন্দুদের '১০ সন্তান নিতে' বললেন ভারতের সন্ন্যাসী
দিল্লীতে কয়েক মাস আগে বেড়াতে আসা এক মার্কিন পর্যটককে গণ-ধর্ষণ করার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভুয়া খবর সনাক্ত করতে ফেসবুকের পরামর্শ খবরের শিরোনামের দিকে, বানাব এবং ছবির দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেছে। অনলাইনে, বিশেষ করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে নানা স্বার্থ উদ্ধারে ভুয়া খবরের উৎপাত নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একে একে বিভিন্ন সরকারও চাপ দিতে শুরু করেছে গুগল, ফেসবুক সহ ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। গত মাসে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী এমপি ডেমিয়েন কলিন্স ৮ই জুনের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভুয়া খবর ঠেকাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। তারই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের এই উদ্যোগ। দশটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের -- ১.শিরোনাম নিয়ে সন্দিহান হতে হবে - ভুয়া খবরের শিরোনামগুলোতে চমক দেওয়া অবাস্তব কথাবার্তা থাকে । সাধারণত লেখা হয় ক্যাপিটাল লেটারে। শেষে দাড়ির বদলে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন থাকে। ২. ইউআরএল লক্ষ্য করুন - সন্দেহজনক ইউআরএল অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখলে মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষা করা উচিৎ। ৩. খবরের সূত্র খেয়াল করুন- যে সূত্রে খবরটি আসছে সেটি কতটা নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করা জরুরী। ৪. বানান বা ফরম্যাটিং খেয়াল করুন - ভুয়া খবর ছড়ানো ওয়েবসাইটগুলোতে বানান ভুল থাকে, খবরের ফরম্যাটে গণ্ডগোল থাকে। আরও পড়ুন: ইসলাম বিদ্বেষ ঠেকাতে ঢাকার মসজিদে চিত্র প্রদর্শনী দশটি পরামর্শ ৫. ছবি লক্ষ্য করুন - ভুয়া খবরে ব্যবহৃত ছবি বা ভিডিওতে অনেক কারসাজি করা থাকে। সন্দেহ হলে যাচাই করা উচিৎ। ৬. দিনক্ষণের দিকটি খেয়াল করুন - ভুয়া খবরগুলোতে অনেক সময় ঘটনার দিনক্ষণে পরিষ্কার অসঙ্গতি চোখে পড়ে। ৭. প্রমাণ যাচাই করুন - লেখকের পরিচয় যাচাই করা উচিৎ। বেনামি সূত্রে লেখা কোনো সংবাদ নিয়ে সন্দিহান হতে হবে। ৮. অন্য জায়গায় খবরটি দেখুন - অন্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে যদি সেই খবর প্রকাশিত না হয়, তাহলে সেটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবর। ৯. খবরটি কি কৌতুক? - খবর কি আসল নাকি স্যাটায়ার অর্থাৎ কৌতুক সেটা বিবেচনা করা উচিৎ। যে সূত্রে খবর দেয়া হচ্ছে সেটি এই ধরণের কৌতুকপূর্ণ খবর ছড়ায় কিনা তা পরীক্ষা করা উচিৎ। ১০. ইচ্ছে করে মিথ্যা ছড়ানো হয় - কোনো খবর পড়ার পর চিন্তা করুন। বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেই শুধু শেয়ার করবেন, অথবা নয়।
ব্রিটেনের পত্র-পত্রিকায় আজ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুয়া খবর সনাক্ত করতে ১০ টি পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গিয়েছে জনজীবন, মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন শুরুর পর তিন মাসে জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন সঙ্কুচিত হয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল, পরিবহন, আবাসনসহ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই সঙ্কোচন দেখা গেছে। এপ্রিল থেকে জুন -- এই তিন মাসের জিডিপি-র সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে কৃষি ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রেই সঙ্কোচন হয়েছে অর্থনীতির। লকডাউনের কারণ দেশটির অর্থনীতি প্রায় স্তব্ধ হয়ে থেকেছে কোভিড মহামারির সময়কালে - শুধু খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া ওই সময়কালে সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেজন্য একমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৪ %। কিন্তু শুধুই কি লকডাউনের জন্য অর্থনীতির এই রেকর্ড সঙ্কোচন? অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত বসু বলছিলেন লকডাউনের আগে থেকেই ক্রমাগত সঙ্কুচিত হচ্ছিল ভারতের অর্থনীতি, লকডাউন শুধু 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' দিয়েছে। "গত দুবছর ধরে প্রতিটা ত্রৈমাসিকেই ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ক্রমাগত কমেছে। বিনিয়োগ যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে রপ্তানি। অর্থনীতির মূল অভিমুখটাই ছিল অনেকদিন ধরেই নিম্নগামী। তারওপরে এই লকডাউন হয়েছে - পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে কড়া লকডাউন হয়েছে। তার প্রভাব কোভিড সংক্রমিতর সংখ্যায় খুব একটা দেখিনি - কিন্তু অর্থনীতির একেবারে যাকে বলে বারোটা বেজে গেছে," বলছিলেন ড. প্রসেনজিত বসু। প্রায় ২৪ % সঙ্কোচনের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাও অসম্পূর্ণ বলে সরকার নিজেই জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর অর্থ হল সঙ্কোচনটা আরও বেশি হওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সম্পূর্ণ হিসাব হয়তো জোগাড় করা যায় নি। জনজীবনের স্থবিরতার প্রতিফলন অসংগঠিত ক্ষেত্রেই জড়িত রয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। এদের মধ্যে যেমন পরিযায়ী শ্রমিকরা আছেন, তেমনই আছেন ইঁটভাটার শ্রমিক বা শহর-গ্রামের রিক্সাচালক বা ছোটখাটো দোকানকর্মী। লকডাউন পর্বে এদের অনেককেই অনাহারে থাকতে হতো, যদি না বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ছাত্রছাত্রীরা এদের মধ্যে খাবার বিলি করতেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনে এর মধ্যেই ভারতে বেকার সোয়া বারো কোটি মানুষ 'করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে গেলেও অনাহারে মারা যাবেন অনেকে' বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে কতদিন লাগতে পারে? বিনামূল্যে বিলি করা খাবারের জন্য কলকাতার উপকণ্ঠে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সংস্থানহীন মানুষ দেড়শো দিনেরও বেশি সময় ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-গবেষকরা রান্না করা খাবার বিলি করছেন সেই সব মানুষের মধ্যে, যাদের ওপরে জিডিপি সঙ্কোচনের সরাসরি প্রকাশ দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুষ্কা পাল প্রথম থেকেই রান্না করা খাবার বিলির কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তারা যেভাবে মানুষকে অনাহারে দিন কাটাতে দেখেছেন, তার নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই অর্থনৈতিক সঙ্কোচনের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। তার কথায়, "আমরা প্রথমে উদ্যোগটা শুরু করেছিলাম স্যানিটাইজার তৈরি আর বিলি করার মধ্যে দিয়ে। যারা দিন-আনি-দিন-খাই শ্রেণির মানুষ, তাদের পক্ষে ওই সময়ে চড়া দামে স্যানিটাইজার কিনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব ছিল না।" "ওই কাজটা করতে গিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের এমন অনেকের সঙ্গে দেখা হল, যারা তখনই বেশ কয়েকদিন না খেয়ে ছিলেন কারণ হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায় তাদের জীবনটা হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে যায়।" প্রথমে তারা ভেবেছিলেন শুকনো চাল ডাল বিলি করবেন, কিন্তু তখন দেখা গেল অনাহার ক্লিষ্ট মানুষের কাছে রান্নার বাকি উপকরণ জোগাড় করাও অসাধ্য। তাই একবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া শুরু হল, যা এক সময়ে বাড়তে বাড়তে এক হাজার জনেরও বেশি হয়ে গিয়েছিল সংখ্যায়। "এমনও অনেকের কথা জানি, যারা পরিবারের সাত-আট জনের মধ্যে হয়তো দুজন খাবার নিতে আসতে পেরেছেন, কিন্তু বাকিরা হয়তো চিঁড়ে খেয়ে থাকবেন। আমাদের মতো যারা রিলিফ নিয়ে মানুষের কাছে গেছি, দেখেছি এক কেজি চিঁড়ে নিয়েও কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে, খিদের জ্বালা এতটাই বেশি ছিল," বলছিলেন অনুষ্কা পাল। নানা সংস্থা বা ব্যক্তির দেওয়া রিলিফের একবেলা খাবারই যাদের একমাত্র ক্ষুধা নিবারণের উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই সময়টায়, যে সময়ের অর্থনৈতিক তথ্য সোমবার সামনে এসেছে, সেইসব পরিবারের শিশু সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষার ওপরেও প্রভাব দেখা যাচ্ছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিচী ট্রাস্ট এই করোনাকালের শহরে আর গ্রামের মানুষের ওপরে কী ধরণের প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন। উৎপাদন বন্ধ, শ্রমের চাহিদা কমে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব সহজ নয় বলে অর্থনীতিবিদরা বলছেন প্রতিচীর গবেষক সাবির আহমেদ বলছিলেন, "গ্রাম হোক বা শহর, গরীব মানুষদের মধ্যেও একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরে যে ছেলে মেয়ে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুক।" "কিন্তু অর্থনীতির অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে এই করোনাকালে যে অনেকেই এখন সরকারি বিনাবেতনের স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভাবছেন। তারা বেসরকারি স্কুলে যত কম বেতনই হোক, সেটা দিতে যে অপারগ এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে, সেটা আমাদের গবেষণার সময়ে দেখতে পাচ্ছি।" "আবার এটাও দেখা যাচ্ছে স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার অনেক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরাই খেত না। কিন্তু এখন শুকনো চাল-ডাল-আলু দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। সেটাই পরিবারের অন্ন সংস্থানের ক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য করছে এখন," বলছিলেন মি. আহমেদ। সরকারি সূত্রগুলি বলছে যে তিন মাসে এই রেকর্ড সঙ্কোচন হয়েছে, তার পরেই শুরু হয়েছে আনলক পর্ব - যখন ধীরে ধীরে কলকারখানা খুলেছে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হচ্ছে। আবার সরকারও নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে কিছু কিছু অর্থ পৌঁছিয়ে দিয়েছে। তাই পরের তিনমাসে অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছিলেন, ঘুরে দাঁড়ানোটা অত সোজা হবে না। "প্রথমত মহামারিটা কতদিন চলবে আমরা জানি না। আর যতদিন মহামারি চলবে, ততদিন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। আমার আশঙ্কা আরও একটা বা দুটো ত্রৈমাসিকেও নেতিবাচক বৃদ্ধি, অর্থাৎ সঙ্কোচন দেখতে পাব আমরা। ''একটা কারণ এখনও শ্রমিকদের ব্যবহার করা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধির কারণে, তাই উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছে না। আবার উল্টোদিকে যেসব ক্ষেত্রে শ্রমটাই সরাসরি পণ্য, যেমন পরিষেবার ক্ষেত্রে, সেখানে শ্রমের চাহিদাটাই কমে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়," বলছিলেন অভিরূপ সরকার। মি. সরকার আরও বলছিলেন, শুধু যে জিডিপি-র ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন তা নয়। যে সময়ের তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেই একই সময়ে পুঁজির লগ্নিও কমেছে ৪৭ %। এখনও লগ্নি স্বাভাবিক নয়। আর লগ্নি না এলে উৎপাদন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান - প্রতিটা দিক থেকেই ভারতের অর্থনীতির ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আগামী বেশ কিছুকাল।
ভারতের অর্থনীতি চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড পরিমাণ সঙ্কুচিত হয়েছে - দেশটির সরকার এই তথ্য প্রকাশের পর গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে ব্রিকসের তিনদিন ব্যপী বৈঠক হচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি সংরক্ষণবাদ প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশের ওপর শুল্ক অবরোধের যে হুমকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন তা নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এই দুই শীর্ষ নেতা ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে তৈরি জোট ব্রিকসের বৈঠকে এ কথা বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে তিনদিনব্যাপী এ বৈঠক হচ্ছে। ব্রিকস দেশগুলোতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি বাস করে, কিন্তু এই দেশগুলো কখনোই একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে কাজ করেনি। মিস্টার শি বলেন, "আমাদের এক তরফা বিশ্ব ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যানে অটল থাকতে হবে। আর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধও আমাদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত, কারণ এতে কেউ জিতবে না।" "এক তরফা কোন ব্যবস্থা কেউই মেনে নেবে না। আর চীন নিজের দরজা খোলা রেখেই নিজেকে আরো বেশি উন্নত করতে থাকবে।" সমান্তরাল ক্ষতি বা কোল্যাটারেল ড্যামেজ উন্নয়নশীল দেশগুলো এবং ক্রমবর্ধনশীল বাজারের যৌথ উত্থান কেউই আটকাতে পারবে না। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যবস্থায় ভারসাম্য ফিরে আসবে বলে মনে করেন মিঃ শি। গত সপ্তাহে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি চীন থেকে আমদানি করা ৫০০ বিলিয়ন ডলার পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বাস করেন - চীনের কাছে বাজার খুলে দিয়ে আমেরিকার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এক হিসাব দেখিয়েছেন যে, ২০১৭ সালে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি ৮০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৮০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আর এই ঘাটতির প্রধান কারণ চীনের সাথে বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা। মিঃ ট্রাম্পের মতে- চীনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নানা কারসাজি করে শুধু জিনিস বিক্রি করা, যার পরিণতিতে আমেরিকার শত শত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। মার্চের শেষে মিঃ ট্রাম্প অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতসহ শত শত চীনা আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ঐ সব পণ্যের আমদানি মূল্য ৬ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? জাপান-ইইউ চুক্তি কি বাণিজ্য যুদ্ধ থামাতে পারবে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: সঙ্কটের মুখে চীনা শিল্প? এরপরে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন মার্কিন পানীয়, শুকরের মাংস, ফল সহ ৩০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বসিয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর এবং দুই নম্বর অর্থনীতির মধ্যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আর এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব অন্য দেশের ওপরও পড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই মূহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত শুল্কের কুফল ভোগ করছে। দেশটির এই দুই খাতের সাত হাজার কর্মীকে এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মিঃ রামাফোসা বলেন তার দেশ এক পাক্ষিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরোধী। তিনি মনে করেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মাবলীর সঙ্গেও বাণিজ্য যুদ্ধের ধারণা সাংঘর্ষিক।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশ্যে চীন বলেছে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জিতবে না।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
প্রতীকী ছবি যারা চিঠি পেয়েছেন তাদের মধ্য থেকে একজন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মি. আহমেদ বলেন, মামলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট ২১ জনকে এই মামলার আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে মাগুরার শ্রীপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা নাসরীন এক নির্দেশনায়, এ ঘটনায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চায়। আগামী ২৩শে মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১৯শে মার্চ চর গোয়ালদাহ গ্রামের ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িতে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। আসামীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মোটরসাইকেল এবং বাইসাইকেলে করে গিয়ে চিঠি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করে। তবে ওই চিঠিতে কোন ধরণের নাম উল্লেখ ছিল না। এ ঘটনায় ওই এলাকার হিন্দু বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। আর সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানায় প্রশাসন। প্রথমে মনে কষ্ট পাই, তারপরে ভয় পাই: চিঠি যারা পেয়েছেন তাদের একজন শ্রীপুর উপজেলার চরগোয়ালদাহ গ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষক নির্মল কুমার সরকার। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, চিঠি পাওয়ার পর "প্রথমে মনে কষ্ট পেয়েছি, তারপর ভয় পেয়েছি, তারপর উৎকণ্ঠিত হয়েছি"। তিনি বলছিলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাছে কেউ একজন চিঠিটি দিয়ে যান। প্রথমে ব্যাপারটা চেপে গিয়েছিলেন তিনি। অন্য কেউও বিষয়টি সামনে আনেননি। "আমরা হিন্দু সম্প্রদায় তো, এমনিতেই মানসিক উৎকণ্ঠায় থাকি", বলছিলেন মি. সরকার। পরে অবশ্য তিনিই স্থানীয় মন্দিরে একটি সভা ডেকে ব্যাপারটি উত্থাপন করেন। তারপর একে একে বাকিরাও চিঠি পাওয়ার কথা জানান। পরে এই খবরটি স্থানীয় প্রশাসনের কানে গেলে তারা হস্তক্ষেপ করেন। কী ঘটেছিল? শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মি. কবীর জানান, যারা চিঠি বিতরণ করেছে তারা ইয়াকুব নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি ছোট মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, তারা তাদের ভাষায় 'ঈমানী দায়িত্ব' পালনের অংশ হিসেবে ১০০ জন অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর জন্য তারা তিন জন করে ২১ জনের মোট ৭টি দল গঠন করেন, যারা চিঠি বিতরণের কাজ করবে। মোট দুই পাতার এই চিঠিতে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত হাতে লিখে কপি করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আরো পড়ুন: "সেই সাথে চিঠিতে তাদের নিজেদের কিছু কথা আছে এবং তারা একটি উপসংহার টেনেছেন যে, আপনারা এসব বিধর্মী পথ ছেড়ে শান্তির পথে আসুন।" চিঠিটি বেনামী এবং কারা পাঠিয়েছেন তাদের কোন নাম উল্লেখ করা নেই। তবে চিঠির শুরুতে লেখা রয়েছে, "মুসলিম জামাতের পক্ষ থেকে"। এটির পর বিভিন্ন প্রাপকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানান তিনি। মি. কবীর বলেন, চিঠিটি তারা পড়েছেন এবং এতে কোন ভীতিকর কোন বিষয় তারা দেখেননি। কাউকে কোন ধরণের হুমকিও দেয়া হয়নি। "চিঠিটি যাদের দেয়া হয়েছে, দেয়ার সময় তাদের কাউকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়নি," বলেন মি. কবীর। বিবিসি বাংলার আরো খবর: মিয়ানমারে রাজপথের আন্দোলনে আত্মত্যাগ আর আতংকের কাহিনী কীভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অচিরেই নিজের 'সোশ্যাল মিডিয়া' নিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মাগুরায় কয়েকটি গ্রামে ৫০ থেকে ৬০ জনকে বেনামী চিঠির মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ, "ট্রাম্প বলেছেন ফেসবুক তাঁর বিরোধী। উদারপন্থীরা বলছেন আমরা ট্রাম্পকে সাহায্য করছি"। এক টুইট বার্তায় গতকাল বুধবার মি: ট্রাম্প বলেছেন, "ফেসবুক সবসময় ট্রাম্প-বিরোধী। সামাজিক মাধ্যমগুলোই ট্রাম্প-বিরোধী, ভুয়া বার্তা দেয়। এমনকি নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাহলে কি সব যোগসাজশ?" সামাজিক মাধ্যম নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মি: জাকারবার্গ বলেন, রাজনীতির দুই পক্ষই ফেসবুকের নানা কিছু নিয়ে হতাশ হয়েছে কারণ এগুলো তাদের পক্ষে ছিলো না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীরাও তাকে মিস্টার ট্রাম্পকে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' আর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইনপ্রণেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খবু শিগগিরই এই তদন্ত কর্মকর্তাদের সাইটটিতে প্রদর্শিত তিন হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন জমা দেবে। ফেসবুক মনে করছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ও পরে ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে আগামী ১লা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: হেমায়েতপুরে ট্যানারি কি আরেকটি হাজারীবাগ হবে? মেজাজ ভালো থাকলেই শুধু ফ্লুয়ের টিকা কাজ করে? একটি ভ্রমণ কাহিনী ও রোহিঙ্গা আদি নিবাস বিতর্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সবসময়ই তাঁর বিরুদ্ধে -যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গত ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' শিরোনামের যে বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং, ঐ সমাবেশের আয়োজকদের মধ্যে একজন ছিলেন জন লুইস। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতা ছিলেন জন লুইস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ভুগছেন তিনি। জন লুইস কীভাবে হয়ে ওঠেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা? ১৯৬৩ সালের ২৩শে অগাস্ট যেই সমাবেশে মার্টিন লুথার কিং তার ঐতিহাসিক 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' ভাষণ দেন, ঐ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দশ জন, তার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন জন লুইস - মার্টিন লুথার কিং'এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেদিন সাদা-কালো সকল ধর্মবর্ণের আমেরিকানই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ থেকে এসে ওয়াশিংটনে সমবেত হয়েছিল, তাদের দাবি ছিল বর্ণবৈষম্যের অবসান। জন লুইসের বয়েস তখন মাত্র ২৩। তিনিও ছিলেন ওই সমাবেশের একজন বক্তা। ১৯৬৩ সালের অগাস্টে ঐতিহাসিক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন জন লুইস ঐ সমাবেশের বক্তাদের মধ্যে শুথুমাত্র জন লুইস'ই বেঁচে ছিলেন। জন লুইসের নিজের শৈশব কেটেছে বর্ণবৈষম্যের মধ্যে। ১৯৪০ সালে আলাবামার ট্রয় শহরে জন্ম হয় তার। আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গ শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠার সময়ই তীব্র বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় তাকে। সেসময় আলাবামা রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের একসাথে পড়ালেখা করার বিষয়ে বিধিনিষেধ ছিল। জন লুইস ট্রয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চাইলেও সেটিতে শুধু শ্বেতাঙ্গদেরই পড়ার অধিকার ছিল। এর কারণে ১৭ বছর বয়সে আলাবামা রাজ্য ত্যাগ করেন তিনি, যোগ দেন টেনেসির আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আরো পড়ুন: অহিংস আন্দোলন কিভাবে দুনিয়া বদলে দিতে পারে? নিজের হত্যা সম্পর্কে কি জানতেন মার্টিন লুথার কিং? ২০১৫ সালে বারাক ওবামা ও জন লুইস এরই মধ্যে নিজ শহর ট্রয়ে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার আবেদনপত্রের বিপরীতে কোনো জবাবই দেয়নি। ট্রয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় জন লুইসের চিঠির উত্তর না দেয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তার হতাশার কথা জানিয়ে মার্টিন লুথার কিংকে চিঠি লিখেন জন লুইস। জবাবে কিং জন লুইসকে মন্টেগোমেরির টিকিট পাঠান, যেন তিনি সেখানে গিয়ে কিংয়ের সাথে দেখা করতে পারেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের সাথে জন লুইসের ঐ সাক্ষাৎই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে জন লুইসের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা হওয়ার পথে প্রথম ধাপ। ছাত্রজীবনের প্রায় পুরোটা সময়েই আফ্রিকান-আমেরিকানদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন জন লুইস। ১৯৬১ সালে গণপরিবহণে কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে যেই ১৩ জন 'ফ্রিডম রাইডার' যাত্রা শুরু করেন, জন লুইস ছিলেন তাদের একজন। সেসময় আমেরিকার কোনো গণপরিবহণে বা পাবলিক প্লেসে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পাশাপাশি দাঁড়ানো আইনত দণ্ডনীয় ছিল। এই নিয়মের প্রতিবাদ করতে ১৩ জন প্রতিবাদকারী - যাদের ৭ জন শ্বেতাঙ্গ ও ৬ জন কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন - ওয়াশিংটন থেকে নিউ অরলিন্স পর্যন্ত বাসে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াল সহকারী গ্রেফতারের পর ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে সাহেদ-সাবরিনা আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনাম হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধের দামামা শুরুর দিকে ভার্জিনিয়া বা নর্থ ক্যারোলাইনা অঞ্চলে ঝামেলা না পোহালেও সাউথ ক্যারোলাইনার রক হিলের একটি বাস স্টেশনে শ্বেতাঙ্গ গুণ্ডাদের আক্রমণের শিকার হন তারা। তাদের অপরাধ ছিল শুধু শ্বেতাঙ্গদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত একটি ওয়েটিং রুমে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন তারা। সেদিন লুইসকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। সেদিন তার ওপর আক্রমণ করা এলউইন উইলসন ২০০৯ সালে এক অনুষ্ঠানে সবার সামনে লু্ইসের কাছে ক্ষমা চান এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লিংকন মেমোরিয়ালে আড়াই লাখ মানুষের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়েছিলেন জন লুইস। ঐ বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, "পুলিশের মার খেতে খেতে আমরা ক্লান্ত। আমাদের লোকেরা কারাগারে যেতে যেতে ক্লান্ত। আর জবাবে বলা হয় 'ধৈর্য্য' ধরতে। আর কতদিন ধৈর্য্য ধরে থাকবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই এবং এখনই চাই।" 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' নামে খ্যাত হওয়া মার্টিন লুথার কিং-এর ওই ভাষণ সারা আমেরিকা জুড়ে টেলিভিশনে প্রচার হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবেই সেটি স্বীকৃতি পেয়েছিল এক ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে। আমেরিকার সিভিল রাইটস আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা ছিল উচ্চতম মুহুর্তগুলোর একটি। ড. কিং-এর স্বপ্নের আমেরিকার সেই রূপকল্প সেদেশেই শুধু নয় - তার বাইরেও মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। জন লুইস (বাম থেকে তৃতীয়) ও ড. মার্টিন লুথার কিং (মাঝে) ১৯৬৫ সালে এক পদযাত্রায় জন লুইসের কাছে - ড. কিং শুধু একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, ছিলেন একজন বন্ধুও। ২০১৩ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জন লুইস বলেছিলেন 'আজকের আমেরিকায় মার্টিন লুথার কিং'এর বিখ্যাত উক্তিগুলোর অনুরণন এখনো হচ্ছে।' গত কয়েকবছর যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আইন, নীতিমালা ও বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেছেন জন লুইস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন তিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া স্বত্ত্বেও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পেছপা হননি তিনি। জন লুইস বলতেন, "তুমি যখন দেখবে যে কিছু একটা অন্যায়, অবিচার হচ্ছে, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বল। তোমার তখন এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হবে, কিছু করতে হবে।" "লড়াইয়ে বুঝে শুনে নেমো, কিন্তু যখন সময় আসবে তখন অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও লই করতে পিছপা হবে না।"
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম আইকন এবং কংগ্রেসের সদস্য জন লুইস ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মনিকা লিউনস্কি, বামে ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস, ডানে। গত শতাব্দীর ১৯৯০ এর দশকে ওই কেলেঙ্কারির জেরে সেসময় প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনকে ইমপিচ করা অর্থাৎ সংসদীয় বিচারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করার কথাও উঠেছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলাতেও এরকম একটি কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। এই আলোচনা পর্ন-তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে তার যৌন সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। তাহলে মি. ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও কি একই ধরনের পরিণতি হতে পারে? তিনিও কি টিকে যেতে পারবেন এই ঘটনায়? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পর্ন-তারকার সাথে ২০০৬ সালে কথিত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। মি. ক্লিনটনের কেলেঙ্কারির বেলাতেও যেমন যৌনতার চেয়ে সত্য/ মিথ্যা বলার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনটা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলাতেও। এই দুটো ঘটনার মধ্যে কোথায় কোথায় মিল আর কোথায় অমিল? ক্লিনটন-লিউনস্কির ওই কেলেঙ্কারি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস ইস্যুতে কি ধরনের ভূমিকা রাখছে... ক্লিনটন-লিউনস্কি: পেছন ফিরে দেখা "ওই নারীর সাথে আমার কোন যৌন সম্পর্ক ছিলো না"- ১৯৯৮ সালে করা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের এই উক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় ও আলোচিত উক্তিগুলোর একটি। তার এই বক্তব্য সত্যও ছিলো না। পরে প্রমাণ হয়েছে যে হোয়াইট হাউজের শিক্ষানবিশ, তরুণী মনিকা লিউনস্কির সাথে তার 'সম্পর্ক' হয়েছিল। মিজ লিউনস্কির এক বান্ধবী এবং সহকর্মী লিন্ডা ট্রিপ গোপনে তাদের এক আলোচনা রেকর্ড করেছিলেন যাতে তিনি ওই সম্পর্কের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সেটা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির পেছনে যে ৭টি কারণ ভাতে চুল: শিশু গৃহকর্মী হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা মাদকবিরোধী অভিযান: প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি মনিকা লিউনস্কির সাথে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। সেসময় প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন সরকারি এক কর্মকর্তা পলা জোন্স। ওই মামলায় লিখিতভাবে বিবৃতি দিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মিজ লিউনস্কিকে। তখন তিনি তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পরে অবশ্য ওই মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। শপথ নিয়েও প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন নিজেও এধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। এবং তখনই তার বিরুদ্ধে শপথ-ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। ট্রাম্প-স্টর্মি: কী হয়েছিল পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, ২০০৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার যৌন সম্পর্ক হয়েছিল এবং সেটা হয়েছিল দু'জনের সম্মতিতেই। সেটা অবশ্য তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বহু আগে। মি. ট্রাম্প তখন ছিলেন এক টিভি তারকা। দ্য অ্যাপ্রেন্টিস নামে জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি টিভি শো উপস্থাপনা করতেন তিনি। স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, সেটা একবারই হয়েছে, এক গল্ফ টুর্নামেন্টের সময় হোটেলের একটি কক্ষে। এর পরেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে তিনি দাবি করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বিল ক্লিনটন। এধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, এরকম হয়ে থাকলে ঘটনাটি ঘটেছে মি. ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া যখন সন্তানসম্ভবা ছিলেন, সেসময়। এবছরের শুরুর দিকে আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয় যে মি. ট্রাম্পের একজন আইনজীবী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন এবিষয়ে তার মুখ বন্ধ রাখার জন্যে। এবং অর্থের বিনিময়ে সেই সমঝোতাটি হয়েছিল ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে আগে। তারপর থেকে মি. ট্রাম্প নিজে এবং তার আইনজীবীরা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে এই অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিক কতোটা জানতেন। কথিত এই সমঝোতাকে বাতিল ঘোষণা করতে মিজ ড্যানিয়েলস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তার অভিযোগ- যে সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে সেটি অকেজো, কারণ তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করেন নি। অন্যদিকে, মি. ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার কাছ থেকে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তিনি এমন একটি সমঝোতার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন যেটি করার কথা ছিল না। এখন এই পরিস্থিতিতে এরকম একটি কেলেঙ্কারি বেলাতে যেসব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো একটু তুলনা করে দেখা যেতে পারে। "ট্রাম্পের যখন ওই সম্পর্ক ছিল তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন না।" সত্য। কিন্তু অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল যখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে লড়ছিলেন। এখানে কিছু আইনগত বিষয় থাকতে পারে। অর্থটা যদি এই প্রচারণা তহবিল থেকে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হবে কেন্দ্রীয় আইনের লঙ্ঘন। ওয়াশিংটনে মনিকা লিউনস্কি। "প্রেসিডেন্টের যৌন জীবন আমাদের কোন বিষয় নয়" ঠিকই। কেউ যদি তার স্ত্রী বা স্বামীর সাথে প্রতারণা করেন তাহলে তাকে ইমপিচ করা যায় না। কিন্তু ক্লিনটনের বেলায় লোকজনের যুক্তি ছিল যে প্রেসিডেন্ট যদি শপথ নিয়ে এবিষয়ে মিথ্যে বলে থাকেন, তাহলে হয়তো তিনি আরো অনেক বিষয়েও মিথ্যে বলে থাকতে পারেন। ট্রাম্পের বেলাতেও তার সমালোচকরা একই ধরনের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন। তারা বলছেন, গোপনে এধরনের অর্থ দেওয়ার ঘটনায় মনে হচ্ছে, সেখানে ব্ল্যাকমেইলের মতো বিষয়ও থাকতে পারে। "কেলেঙ্কারি ট্রাম্পের গায়ে লাগে না" এখনও পর্যন্ত অনেকেই মনে করেন, মনিকা লিউনস্কির সাথে ক্লিনটনের এই সম্পর্ক তার মেয়াদের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কেলেঙ্কারিকে ঘিরে এখনও অনেক কিছু ঘটছে। তিনিও কি এরকম একটি কথিত সম্পর্কের পর টিকে যেতে পারবেন? শেষ পর্যন্ত কীভাবে এই নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। স্টর্মি ড্যানিয়েলস। কীভাবে টিকে গিয়েছিলেন ক্লিনটন, কী হবে ট্রাম্পের বেলায়? বিল ক্লিন্টনকে কখনো ক্ষমতাচ্যুত করা হয়নি। হাউজ রিপাবলিকান তাকে ইমপিচ করেছিল কিন্তু পরে সেনেটে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। তারপর ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। এখন স্টর্মি কেলেঙ্কারি কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পতনের কারণ হতে পারে? আইনজীবীরা বলছেন, এটা নির্ভর করছে অনেক কিছুর উপর- এরকম কি আর কখনো হয়নি, তাদের মধ্যে আর কোন সমঝোতা হয়েছিলো কিনা যেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি ইত্যাদির উপর। অনেকে মনে করছেন, ডেমোক্র্যাটরা যদি কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে, স্টর্মি ড্যানিয়েলস কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনতে তারা দ্বিধা করবে - কারণ তা না হলে ক্লিনটনের বেলায় তারা যেসব যুক্তি তর্ক দিয়েছিলেন সেগুলোই তাদেরকে এখন হজম করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বেশিরভাগ যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনাতেই এরকমটা হয়ে থাকে। একজন আইনজীবী বলেছেন, "যৌন কেলেঙ্কারির যেসব বিষয় খুব সহজে হজম করা যায় লোকজন প্রথমে সেগুলো হুড়মুড় করে খেতে থাকে কিন্তু পরে তারা যার যার দলীয় অবস্থান ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভাগ হয়ে যায়।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সাথে হোয়াইট হাউজের এক শিক্ষানবিশ মনিকা লিউনস্কির যৌন-সম্পর্কের ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সারা বিশ্বেই আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে ভারতে যে চিকিৎসক ময়না তদন্ত করেছেন, তার ধারণা এক সপ্তাহ ধরে হয়তো নির্যাতন করা হয়েছে মেয়েটিকে। পুলিশেরও ধারনা মেয়েটিকে আটকে রেখে এভাবে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ পাওয়ার দশ দিন পরও মেয়েটির পরিচয় বের করতে পারেনি পুলিশ। গুজরাটের ৮০০০ নিখোঁজ শিশুর ফাইল ঘেঁটেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি তারা। দিল্লিতে বিবিসির সৌতিক বিশ্বাস বলছেন, ভারতে দুর্বলদের ওপর সবলদের কর্তৃত্ব ফলাতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। শ্রেণী-বৈষম্য এবং পুরুষ-শাসিত যে সমাজে হিংসা ছড়িয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা আশঙ্কাজনক-ভাবে বাড়ছে, সেখানে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনাকে স্বাভাবিক পরিণতি হিসাবে দেখছেন অনেকেই। মূলত মেয়ে ভ্রূণ হত্যার কারণে ভারতে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম। প্রতি ১০০ মেয়ে শিশুর জন্মের তুলনায় ১১২ টি ছেলে শিশু জন্ম নেয়। এ কারণে, স্বাভাবিকের চেয়ে নারীর সংখ্যা ভারতে প্রায় ছয় কোটি ৩০ লাখ কম। আরও পড়ুন: ধর্ষিতা মেয়ের বয়ান বদলাতে ঘুষ নিয়েছেন মা সিরিয়ার যুদ্ধকে কিভাবে দেখছেন সে দেশের মানুষজন? বিক্ষোভের মুখে কথা বলতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পুরুষ ভর্তি দেশ অনেকেই বিশ্বাস করেন, পুরুষের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি হওয়ার কারণে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন বাড়ছে। নারী ও পুরুষের সংখ্যার অনুপাতে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের চিত্র সবচেয়ে খারাপ। এবং এ রাজ্যে গণ ধর্ষণের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। এক জানুয়ারি মাসেই, ১০ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে ৫০ বছরের এক পুরুষকে আটক করা হয়, সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৫ বছরের একটি বালককে আটক করা হয়, ২০ বছরের এক বিবাহিতা নারীকে ধর্ষণ করে দুই পুরুষ; চাষের জমিতে পাওয়া যায় একটি মেয়ে শিশুর ক্ষত-বিক্ষত দেহ। এসব ঘটনা পুলিশের খাতায় উঠেছে। এমন অনেক ঘটনাই পুলিশের কাছেই আসেনা। ভারত শাসিত কাশ্মীরে একটি মুসলিম যাযাবর সম্প্রদায়ের আট বছরের একটি মেয়ে শিশুকে মন্দিরে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনা পুরো ভারতকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, মুসলিম ঐ যাযাবররা যেন তাদের এলাকায় ছাগল চরাতে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে ঐ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। অনেক মানুষ এই ঘটনা প্রকাশ্যে সমর্থনও করেছে। অভিযুক্তদের সমর্থনে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন রাজ্য সরকাররে বিজেপি'র দুই মন্ত্রী । সমালোচনার মুখে তারা অবশ্য পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কেরালা রাজ্যে একজন ব্যাংক ম্যানেজার ফেসবুকে কাশ্মীরে ঐ ধর্ষণ ও হত্যার সমর্থনে পোস্টিং দেন - "এটা না হলে ঐ মেয়েটি বড় হয়ে হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে মানব-বোমা হয়ে হাজির হতো।" তাকে অবশ্য বরখাস্ত করা হয়। চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন, "আমাদের কন্যারা বিচার পাবে।" অনেকেই বলছেন তার এই আশ্বাস ফাঁকা বুলি। অন্য দলের রাজনীতিকরাও ব্যতিক্রমী তেমন কিছু দেখাতে পারছেন না। ২০১৪ সালে একজন নারী সাংবাদিককে ধর্ষণ করার দায়ে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, উত্তর প্রদেশের বড় দল সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়াম সিং যাদবের মন্তব্য ছিল- "পুরুষরা ভুল করে। সেজন্য তাদের ফাঁসি দেওয়া যায়না। আমরা ধর্ষণ বিরোধী আইন বদলাবো।" ভারতের সামাজিক এই বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয় নারীদের: নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে, ঠিকমতো পোশাক পরো, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে যেওনা, অথবা ঘরের ভেতরে থাকো। সবচেয়ে আশঙ্কা যেটা তা হলো এখন অধিক সংখ্যায় শিশুরা টার্গেট হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে শিশু ধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ হয়েছে। দেশে ধর্ষণের শিকার নারীদের ৪০ শতাংশই শিশু। জম্মুর ঘটনার পর সারা ভারতে বিক্ষোভ হয়েছে মানুষের উদাসীনতা ধর্ষণ শুধু ভারতের সমস্যা নয়, কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং নারী-পুরুষের অস্বাভাবিক অনুপাতের এখানকার পরিস্থিতি অন্যদের চেয়ে খারাপ। পাশাপাশি রয়েছে মানুষের উদাসীনতা । নারীর অধিকার বা নিরাপত্তা ভারতে কখনই নির্বাচনী ইস্যু নয়। তবে আশার কথা যে ধর্ষণের ঘটনা বেশি বেশি করে সংবাদে আসছে। মামলা হচ্ছে বেশি। কিন্তু হতাশার কথা যে ভারতের বিচার ব্যবস্থা এখনও রাজনৈতিক চাপের কাছে পর্যূদুস্ত। অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষকরা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। এখনও ভারতে প্রতি চারটি ধর্ষণের মামলার মাত্র একটিতে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়।
মেয়েটির বয়স নয় থেকে ১১ বছরের হবে। সম্প্রতি গুজরাটের সুরাট শহরের একটি খেলার মাঠের কাছে ঝোপের ভেতর তার ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের ৮৬টি জখমের চিহ্ন ছিল।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন একজন পশু চিকিৎসক মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে - একধরণের অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরণের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে সাধারণত হালকা জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যাথা, গলা ব্যাথার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যায় তা শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে। এধরণের অ্যানথ্রাক্সে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে। ফোঁড়া ঠিক হয়ে গেলে হাতে, মুখে বা কাঁধের চামড়ায় দাগ দেখা যেতে পারে। যেসব এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয় সেসব এলাকাতেই সাধারণত অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের রোগতত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান বাংলাদেশে সাধারণত কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই অ্যানথ্রাক্স হয়ে থাকে। "অ্যানথ্রাক্স গরু, ছাগল, মহিষ - এই ধরণের প্রাণির মধ্যে প্রথম দেখা যায়। এসব প্রাণির মাধ্যমেই অ্যানথ্রাক্স মানুষের মধ্যে ছড়ায়।" কীভাবে অ্যানথ্রাক্স মানুষের মধ্যে ছড়ায়? মূলত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস কাটার সময় মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। মিজ ফ্লোরা বলেন, "পশু জবাই করা, সেটির মাংস কাটাকাটি করা এবং মাংস ধোয়া বা রান্নার সময় অনেকক্ষণ মাংস, রক্ত ও হাড্ডির সংস্পর্শে থাকতে হয়। সেসময় আক্রান্ত পশুর রক্তের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে অ্যানথ্রাক্স।" অ্যানথ্রাক্স আক্রন্তা একজন কিশোর (ফাইল ছবি) মাংস কাটাকাটির সময় মানুষের শরীরের চামড়ায় কোনরকম ক্ষত থাকলে তার দেহে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি তাকে বলে জানান তিনি। "আমাদের দেশে পশুর অ্যানথ্রাক্স হলেও অনেকসময় তা জবাই করে মাংস কম দামে বিক্রি করে ফেলা হয়। ঐ মাংস কাটাকাটি করার সময় অ্যানথ্রাক্স আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।" মিজ. ফ্লোরা নিশ্চিত করেন, পশু থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হলেও মানুষ থেকে অন্য মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হয় না। আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে কী অ্যানথ্রাক্স হতে পারে? মিজ. ফ্লোরা বলেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশে সাধারণত যেভাবে মাংস রান্না করে খাওয়া হয় তাতে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু মাংসে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। "বিদেশে 'হাফ ডান' অবস্থায় মাংস রান্না করে খাওয়া হয়, সেই পদ্ধতিতে রান্না করলে মাংসে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা থাকে।" "কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে মাংস রান্না করা হয়, ঐ পদ্ধতিতে রান্না করলে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।" তবে, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস না খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন মিজ. ফ্লোরা। অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে করণীয় অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে মূলত দুই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান মিজ. ফ্লোরা। "প্রথমত, যাদের গরু, মহিষ, ছাগলের মত গবাদি পশু রয়েছে, তারা যেন তাদের পশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্সের টীকা দেন তা নিশ্চিত করতে হবে।" আর পশুর যদি অ্যানথ্রাক্স হয়েই যায়, সেক্ষেত্রে পশুকে দ্রুত মাটির নীচে পুঁতে ফেলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সেসব এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দু'ধরণের নয়, ডায়াবেটিস আসলে পাঁচ ধরণের - বলছেন গবেষকরা ডায়াবেটিস মূলত: 'রক্তে অনিয়ন্ত্রিত সুগার লেভেল' হিসেবে চিহ্নিত একটি রোগ এবং এখন পর্যন্ত সাধারণত একে দুটিভাগে ভাগ করা হয় - টাইপ ১ এবং টাইপ ২। কিন্তু সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের গবেষকরা মনে করছেন, তাঁরা ডায়াবেটিস সম্পর্কিত আরও জটিল একটি চিত্র খুঁজে পেয়েছেন এবং এর ফলে এই রোগ নিরাময়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, তবে চলমান চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে হয়তো আরও সময় লাগবে। বিশ্বে প্রতি ১১ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন - আর একবার আক্রান্ত হলে রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, অন্ধত্ব, কিডনি অচল হয়ে পড়া এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার মতো ঝুঁকি বেড়ে যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলো মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত রোগ। এটি শরীরের ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা বা বেটা সেলকে আক্রমণ করে, ফলে রক্তে সুগার বা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় এই হরমোনটির পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়না। অন্যদিকে, টাইপ ২-কে মনে করা হয় অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ হিসেবে, যেখানে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিস নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি করেছে সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডায়াবেটিস কেন্দ্র এবং ফিনল্যান্ডের ইন্সটিটিউট ফর মলিক্যুলার মেডিসিন। আর এতে ১৪,৭৭৫ রোগীর ওপর নজরদারী করা হয়, বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয় তাদের রক্তের। গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজিতে। এতে দেখানো হয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগীদের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট ক্লাস্টারে ভাগ করা যায়। বিশ্ব জুড়েই ডায়াবেটিস একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা গবেষকদলের অন্যতম, অধ্যাপক লিফ গ্রুপ বিবিসিকে বলেন, "এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা রোগীদের একেবারে যথাযথ ঔষধ দেয়ার ক্ষেত্রে এক কদম এগিয়ে যাচ্ছি।" তিনি বলেন, যে তিন ধরণের ডায়াবেটিস তীব্র মাত্রার, তার চিকিৎসা অন্য দুই ধরণের ডায়াবেটিসের চেয়ে জোরালোভাবে করা যেতে পারে। ক্লাস্টার ২ ধরণের রোগীদেরকে এখনকার টাইপ ২ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে, কারণ তাদের অটোইমিউন রোগ নেই। গবেষণায় অবশ্য এই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে এদের রোগের কারণ সম্ভবত তাদের বেটা-সেলের কোন খুঁত - এরা যে খুব মোটা সে কারণে নয়। আর তাদের চিকিৎসা ওই ধরণের রোগীদের মতো হওয়া দরকার যারা এখন টাইপ ১ হিসেবে চিহ্নিত। ক্লাস্টার ২ রোগীদের অন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী, আর ক্লাস্টার ৩ রোগীদের বেশী ঝুঁকি কিডনি সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার - ফলে বেশী করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কয়েকটি ক্লাস্টারের রোগীরা উপকৃত হতে পারেন। আরও ভালো শ্রেণীবিন্যাস লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের কন্সালট্যান্ট ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট ড. ভিক্টোরিয়া সালেম বলেন, বেশীরভাগ বিশেষজ্ঞই জানতেন যে ডায়াবেটিসকে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ - এই দু'ভাগে ভাগ করে যে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়, তা "খুব একটা সঠিক নয়"। তিনি বিবিসিকে বলেন, "কোন সন্দেহ নেই যে আমরা ডায়াবেটিসকে নিয়ে ভবিষ্যতে কীভাবে চিন্তা করবো, তা এই গবেষণা সাহায্য করবে।" কিন্তু তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করে দেন যে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আজই কোন পরিবর্তন আসবে না। এই গবেষণা করা হয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ায়। অন্যদিকে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একেক রকম। যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় এই রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশী। ড. সালেম বলেন, "এখনো অনেক কিছুই অজানা। এমনও হতে পারে যে জিন এবং স্থানীয় পরিবেশের কারণে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসের ৫০০ ধরণের সাব-গ্রুপ রয়েছে।" "গবেষকদের বিশ্লেষণে পাঁচটি ক্লাস্টার পাওয়া গেছে, কিন্তু এই সংখ্যা বাড়তেও পারে," বলছেন এই বিজ্ঞানী। ওয়রউইক মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক সুদেষ কুমার বলেন, "নিশ্চিতভাবে এটি কেবলই একটি প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের জানতে হবে এদের আলাদা আলাদা চিকিৎসা দিলে আমরা ভালো ফলাফল পাবো কি-না"। ডায়াবেটিস ইউকে'র ড. এমিলি বার্নস বলছেন রোগটি সম্পর্কে ঠিকঠাক মতো বুঝতে পারলে "তা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদাভাবে চিকিৎসা দেয়া এবং এটা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য" করতে পারে। তিনি আরও বলেন, "টাইপ ২ ধরণের ডায়াবেটিস আরও ভালো করে বুঝতে এই গবেষণা বেশ প্রতিশ্রুতির পরিচয় দিয়েছে, কিন্তু এর মাধ্যমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের কী উপকার হবে তা বোঝার আগে সাব-গ্রুপগুলো সম্পর্কে আমাদের আরও ভালোভাবে জানতে হবে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মডেলের শিশুকে স্তন্যদানের ছবি নিয়ে ভারতে বিতর্ক শ্রীদেবীর শব গ্রহণকারী কে এই আশরাফ থামারাসারি? যৌন নির্যাতন: অভিযোগ করলেই বালক দুষ্ট হয়?
বিজ্ঞানীরা বলছেন ডায়াবেটিস আসলে পাঁচটি ভিন্ন ধরণের রোগ এবং এর প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আলাদা চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
পুজোর প্রসাদ এই সব খাওয়াদাওয়াকে অনেক বাঙালিই দুর্গাপুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করেন - কিন্তু এই সময়ই আবার উত্তর ও পশ্চিম ভারতে হিন্দুরা অনেকে 'নবরাত্রি' উদযাপন করেন, যাতে আমিষ খাওয়াদাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমিষ-নিরামিষকে ঘিরে এই সংঘাতের জেরে ভারতে অনেক বাঙালিকেই দুর্গাপুজোর সময় তাদের প্রিয় আমিষ পদগুলো বর্জন করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পূর্ব দিল্লির পূর্বাচল সমিতিতে দুর্গাপুজো হচ্ছে গত সাতাশ বছর ধরে - আর সেই পুজোর প্রতি বছর চত্বরে কাবাব-বিরিয়ানি খেতেও ভিড় জমান বহু লোকজন। কিন্তু নবরাত্রি-র সময় এভাবে পুজোপ্রাঙ্গণে মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করে এবার ফেসবুকে প্রচার চালিয়েছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ, যার জেরে পুজোমন্ডপ থেকে পাট গোটাতে বাধ্য হয়েছে সেই সব দোকান। পুজো কমিটির সচিব অশোক সামন্ত অবশ্য সাফাই দিচ্ছেন, পুজোতে চিরকালই তারা নিরামিষপন্থী। "আমরা চিরকাল পুজোর ভোগে সবকটা দিনেই সম্পূর্ণ নিরামিষ খাইয়ে এসেছি - এই যেমন আজও সবাইকে খিচুড়ি খাওয়ালাম। আর পশুবলিও তো সরকারি নিষেধাজ্ঞার জন্য কবে থেকেই বন্ধ। কিন্তু আমাদের পুজোর বাইরের স্টলে কী বিক্রি হবে, সেটা তো তাদের ব্যাপার, তাদের ওপর তো আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই!", বলছিলেন তিনি। তবে ফুড হিস্টোরিয়ান অধ্যাপক পুষ্পেশ পন্থ বিবিসিকে বলছিলেন, দুর্গাপুজোয় আমিষের চল ছিল আবহমান কাল থেকেই। তার বক্তব্য, "যবে থেকে আর্যসমাজী ঘরানার পাঞ্জাবি শরণার্থীরা বিজেপিতে প্রভাব বিস্তার করেছে - তখন থেকেই এই নিরামিষ খাবার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হিন্দু কিন্তু কখনওই নিরামিষাশীদের ধর্ম ছিল না - এটা জৈনধর্ম নয় - ভারতে ক্ষত্রিয়-রাজপুত-বৈশ্য-শূদ্ররা এবং অনেক ব্রাহ্মণও চিরকাল মাংস খেতেন।" দিল্লির একটি পুজো মন্ডপ কিন্তু পুজোতে হিন্দু বাঙালির মাছ-মাংসের এই সব এলাহি আয়োজন বন্ধ করার জন্য উত্তর ভারতে গত কয়েক বছর ধরেই চাপ বাড়ছে - বলছিলেন দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের পুরনো বাসিন্দা হিমাদ্রি দত্ত। তার কথায়, "এই জিনিসটা একেবারে নতুন। আমরা এই সেদিনও বলাবলি করছিলাম, যেভাবে ভারতে মাংসের বিরুদ্ধে প্রচার চলছে তাতে এই সব লোকজন বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বলে। উত্তর ভারতে আসলে বাঙালিদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।" এতদিন এই সব চাপ উপেক্ষা করেই অবশ্য দিল্লিতে বাঙালিরা পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে চুটিয়ে আমিষ খেয়েছেন, বলছিলেন তিনি। "চল্লিশ বছর ধরে দেখছি, আমাদের চিত্তরঞ্জন পার্কের সব পুজোতে কাবাব-বিরিয়ানির দোকানের সামনে লম্বা লাইন। ফিশ কাটলেট, ফিশ ফ্রাই তো খুব জনপ্রিয়। আর শহরের তিন-চারটে পুরনো পুজোর একটা, কাশ্মীরি গেটের পুজোয় তো মানুষ দূরদূরান্ত থেকেও শুধু বিরিয়ানি খেতে যায়। প্রতিমা দেখার চেয়েও কাশ্মীরি গেটের পুজোয় মাটন বিরিয়ানি খাওয়াটা বেশি জরুরি", হাসতে হাসতে বলছিলেন হিমাদ্রি দত্ত। "আসলে এই খাওয়া-দাওয়া, গানবাজনা, সাহিত্য-সংস্কৃতি বাঙালির ধর্মপালনের সঙ্গেও চিরকালই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত", যোগ করেন তিনি। আরও পড়ুন: একটি ভ্রমণ কাহিনী ও রোহিঙ্গা আদি নিবাস বিতর্ক দিল্লির পুজোয় এবার বিরিয়ানি, কাবাব নিষিদ্ধ কিন্তু সেই খানাপিনার সংস্কৃতির ওপর এখন নবরাত্রির দাবি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে - যার মূল কথা হল মাছ-মাংস বর্জন। বিবিসি হিন্দির নীতিন শ্রীবাস্তবের কথায়, "এই সময়টায় আমিষের ওপর কড়াকড়ি ক্রমশ বাড়ছে। নবরাত্রিতে দোকানে প্রকাশ্যে আমিষ বিক্রি করা হচ্ছে না, উত্তর আর পশ্চিম ভারতে খবরের কাগজে পাতা-জোড়া নিরামিষ পদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে - রেস্তোরাঁগুলো পরিষ্কার বলছে এই সময় আমিষ পদ সার্ভ করা হবে না। এ অদ্ভুত জিনিস আগে কখনও দেখিনি।" আর সেই নবরাত্রি আর দুর্গাপুজো যেহেতু একই সময়ে - ফলে পুজো উদযাপন করা দিল্লির বাঙালিকে অগত্যা এখন নিরামিষেই পেটপুজো সারার কথা ভাবতে হচ্ছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দুর্গাপুজোর সময় আমিষ খাওয়া নিয়ে আপত্তি ওঠার জেরে পূর্ব দিল্লির একটি পুরনো বারোয়ারি পুজোর প্রাঙ্গণে বিরিয়ানি-চিকেন রোল-কাবাব বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত আসাম তৈরি হয়েছে, আসামের ভাষায়, 'তিনকোনিয়া বিভাজন'। অসমীয়ারা মনে করছেন, এই আইনের ফলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু ভারতে চলে এসে নাগরিকত্ব পেলে বিপন্ন হবে অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি। আবার বাংলাভাষী মুসলমানরা মনে করছেন, এই আইনের মাধ্যমে বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রহীন করে দেওয়া হতে পারে। আর যারা সব থেকে লাভবান হবেন বলে মনে করছেন অন্য যে গোষ্ঠী, সেই বাঙালি হিন্দুদের আদৌ কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে আইনজ্ঞদেরও। আর এই পারস্পরিক অবিশ্বাসের আবহে হিন্দু বাঙালীদের এলাকায় দোকান-বাড়ি আক্রমণ করার কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটছে। সম্পর্কিত খবর: আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ অসমীয়াদের ভয় বাংলাদেশে থেকে হিন্দুদের ঢল নামবে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রতিবাদে গুয়াহাটি শহরের রাস্তায় ক'দিন আগে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ গত সপ্তাহেই সহিংস চেহারা নিয়েছিল। রাজধানী এখন শান্ত হলেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে গ্রামে গ্রামে। বরপেটা জেলার এরকমই একটা প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিলেন সরভোগের বাসিন্দা স্বপ্না দেবীদাস। তার ভাই ১৯৮৩ সালে আসাম আন্দোলনের নিহত হয়েছিলেন। স্বপ্না দেবীদাস বিবিসিকে বলেন, নাগরিকত্ব আইন চালু হলে তার ভাইয়ের মতো আরও যারা আসাম আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের জীবনত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। স্বপ্না দেবীদাসের কথায়, "৮১৬ জন শহীদ হয়েছিলেন আসাম আন্দোলনে, তাদের জীবনদান ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হয়। বহু বাংলাদেশী অবৈধভাবে আসামে এসেছে ইতিমধ্যেই। এই আইন চালু হলে বাংলাদেশ থেকে চলে আসা আরও বহু মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আমিও ভাইয়ের মতোই প্রাণ দিতে তৈরি - কিন্তু নিজের ভাষা সংস্কৃতির ওপরে কোনওরকম আক্রমণ মানব না।" গোরেশ্বর এলাকায় হামলা হয়েছে হিন্দু বাঙালিদের এই দোকানে ওই প্রতিবাদীদের মধ্যেই কেউ কেউ বলছিলেন যে বাংলাদেশ থেকে আরও এক দেড় কোটি হিন্দু আসামে চলে আসতে পারেন, যাতে নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতি বিপন্ন হওয়ার যে আশঙ্কা করছেন অসমীয়ারা। বিজেপির আসাম রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাশের অবশ্য হিসাব, বড়জোড় সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ - যারা ২০১৪ সালের আগে বেশ অনেকদিন আসামে বসবাস করেছেন, তারাই এই আইনে নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ পাবেন। "আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি যে বড়জোড় সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ এই আইনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। জেলাওয়ারি একটা হিসাবও আছে আমাদের। তবে যেটা প্রচার হচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে এক কোটি ২০ লক্ষ মানুষ চলে আসবেন ইত্যাদি - সেটা একটা গুজব। বাংলাদেশ থেকে যদি নতুন করে ২০ জনও আসেন, তাহলেও আমরা বিজেপির সব সদস্য পদত্যাগ করতে তৈরি আছি - এটা আমরা প্রকাশ্যেই বলেছি," বলছিলেন মি. দাশ। মুসলমানদের ভয় অন্যদিকে, বাংলাভাষী মুসলমানদের আশঙ্কা যে হিন্দু বাঙালীদের নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেওয়া হবে এই আইনে, আর আসামের বাঙালি মুসলমানদের রাষ্টহীন করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত এই আইন। বাকসা জেলার শনবাড়ির বাসিন্দা মুহম্মদ আবদুল লতিফের কথায়, ""নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে এন আর সি থেকে বাদ পড়া হিন্দু বাঙালীরা নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে যারা এন আর সি থেকে বাদ পড়েছে, তারা তো নতুন আইনের সুযোগ পাব না! অর্থাৎ আমাদের রাষ্ট্রহীন করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছাড়া কিছুই না এটা।" বোকো জেলার একটি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করেন কনক চক্রবর্তী। তিনি বলছিলেন, কোন গোষ্ঠীর মানুষ কতটা নাগরিকত্ব পাবেন, আদৌ পাবেন কিনা - সেটা অস্পষ্ট হলেও এই আইন আসামের নানা ধর্মীয় আর ভাষিক গোষ্ঠীর মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে। "অসমীয়ারা মনে করছে বাঙালিরা নাগরিকত্ব পেলে তাদের ভাষা সংস্কৃতি নষ্ট হবে। মুসলমানরা ভাবছে হিন্দুরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে তাদের কী হবে। এই চিন্তাধারাটা একটা সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর তার থেকে একমাত্র সুবিধা পাচ্ছে রাজনৈতিক পার্টিগুলো। তাদেরই একমাত্র লাভ হবে ভোটের সময়ে," বলছিলেন মি. চক্রবর্তী। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অসমীয়াদের অবস্থান ধর্মঘট আক্রোশের শিকার হচ্ছেন হিন্দু বাঙালিরা নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে যে আসামের মানুষের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করে দিতে পেরেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার, সেটা মনে করেন নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন সামাজিক কাজে জড়িত গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিনিয়ার আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীও। তিনি বলছিলেন, "হিন্দু - মুসলমানে বিভাজন বা অসমীয়া-বাঙালী বিভাজন করে দিতে সফল হয়েছে সরকার। আইনটা যদি দেখা যায়, তাতে বাঙালী মানুষরাও বিশেষ কিছু পাবেন, না অসমীয়া মানুষের কোনও বিরাট ক্ষতি হবে। কিন্তু দুটো বিপরীতমুখী ভাবনার লড়াই লাগিয়ে দিয়েছে।" আর এই বিভাজনের ফলে আক্রোশ গিয়ে পড়ছে হিন্দু বাঙালিদের ওপরে। যদিও তারাও নিশ্চিত নন যে নতুন আইনে তাদের কতটা লাভ হবে। তবুও আসামের গোয়ালপাড়া, তিনসুকিয়া আর বাক্সা জেলায় হিন্দু বাঙালিদের দোকান - বাড়িতে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। গোরেশ্বর এলাকার একটি গ্রামে পরপর ভাঙ্গচুর করা হয়েছে হিন্দু বাঙালি এবং স্থানীয় বোড়োদের দোকান বা বাড়িতে। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিত দাস বলেন, "এটুকু বলতে পারি, যারা গত বৃহস্পতিবার ভাঙ্গচুর চালিয়েছে আমাদের দোকান বা আরও অনেক দোকানে বাড়িতে, তারা নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারী। তারা মনে করেছে আমরা বাঙালিরা র বোড়োরা নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা পাব, তাই তারা স্লোগান দিচ্ছিল বাঙালিদের দোকান ভেঙ্গে দাও, জ্বালিয়ে দাও।" 'আমাদের ভাষা যদি সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে, তাহলে অসমীয়ারা তো প্রতিবাদ করবেই,' অসমীয়া ভাষার লেখিকা অনুরাধা শর্মা পূজারী নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন কী তাহলে গোষ্ঠীগত বিভাজন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে? অসমীয়া ভাষার লেখিকা ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার অনুরাধা শর্মা পূজারী বললেন, সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার ভয় ঢুকেছে অসমীয়াদের মধ্যে। "আমরা যে প্রতিবাদ করছি তা কখনই বাঙালি বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের একটাই কথা - আসাম চুক্তি অনুযায়ী ২৫শে মার্চের পরে আসা কোনও ধর্মের - কোনও ভাষাভাষি কোনও বিদেশিকে আসাম গ্রহণ করতে অপারগ। আসামে সবসময়ে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থেকেছেন, সেজন্যই আসামভূমিকে শঙ্কর-আজানের দেশ বলা হয়। অসমীয়া হিন্দুদের মহাপুরুষ শঙ্করদেব আর মুসলমানদের আজান একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। সেখানে কোনও ভেদাভেদ হয় না। কিন্তু আমাদের ভাষা যদি সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে, তাহলে অসমীয়ারা তো প্রতিবাদ করবেই।" মিসেস পূজারী মনে করেন নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। "আপার আসামে চা বাগানগুলিতে বা বরাক উপত্যকায় তাদের শক্তপোক্ত ভোটব্যাঙ্ক আছেই। তাদের চিন্তা ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা নিয়ে - সেখানেও যদি অসমীয়া - বাঙালি হিন্দু আর বাঙালি মুসলমানের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ক্ষমতাসীন দলই লাভবান হবে।"
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আসামে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে, তার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে সেখানকার ধর্মীয় আর ভাষা গোষ্ঠীগুলির মধ্যে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
'মি-টু রাইজিং' ম্যাপে এই মূহুর্তে জ্বলজ্বল করছে ভারত গুগল ট্রেন্ডিং ইতোমধ্যে এরকম একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। এতে এই মূহুর্তে যে দেশটি এই আন্দোলনের শিখায় জ্বলজ্বল করছে, সেটি ভারত। পুরো ভারত জুড়েই আসলে এই মূহুর্তে লোকে 'মি-টু' নিয়ে কথা বলছে, গুগলে 'মি-টু' লিখে সার্চ দিচ্ছে। মার্কিন নারীবাদী কবি মিউরিয়েল রুকেসারের একটি উদ্ধৃতি গুগল ব্যবহার করেছে এই ম্যাপে। "যদি একজন নারী তার জীবনের সত্য প্রকাশ করে, তাহলে কী ঘটবে? দুনিয়া দুই ভাগ হয়ে যাবে।" ম্যাপটি দেখে আসলেই মনে হবে 'মি-টু' আন্দোলন দুনিয়া জুড়ে সেরকম একটা অবস্থাই তৈরি করেছে। গুগল ট্রেন্ডিং এর 'মি-টু রাইজিং' ম্যাপ দেখতে পারেন এই লিংকে ক্লিক করে: https://metoorising.withgoogle.com/ বিশ্বের যেসব শহরে এরকম 'মি-টু' লিখে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ দেয়া হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই 'মি-টু রাইজিং' নামে এই 'ডেটা ভিসুয়ালাইজেশন ম্যাপ' তৈরি করা হয়েছে। কোন শহরে যত বেশি লোক 'মি-টু' লিখে সার্চ দিচ্ছে, সেই শহর ম্যাপে তত বেশি জ্বলজ্বল করছে। ভারতের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকদের 'মি-টু' আন্দোলন ভারতের পর আর যেসব দেশে 'মি-টু' আন্দোলন নিয়ে বেশি কথা হচ্ছে তার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আরও পড়ুন: ‘মি টু’ কি সত্যিই যৌন নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে? যৌন হয়রানির বিষয়ে কেন মুখ খোলেনা মেয়েরা? হলিউডে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের মিছিল ভারতের বাইরে দক্ষিণ এশিয়ার আর যেসব বড় নগরী ম্যাপে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে আছে ঢাকা, কাঠমান্ডু, করাচী, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং ইসলামাবাদ। ভারতের 'মি-টু' আন্দোলনকে একটি 'এলিট' বা সমাজের উঁচুতলার নারীদের আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করছিলেন অনেক সমালোচক। কিন্তু ম্যাপে দেখা যাচ্ছে পুরো ভারত জুড়েই গুগল ট্রেন্ডে 'মি-টু' আছে শীর্ষে। বড় বড় নগরী তো বটেই, ভারতের নানা প্রান্তের একেবারে ছোট ছোট শহরে পর্যন্ত লোকে গুগলে এটি লিখে সার্চ দিচ্ছে। 'মি-টু রাইজিং' ম্যাপে কোন শহরের ওপর ক্লিক করলে সেই শহরে 'মি-টু আন্দোলন' সম্পর্কিত খবরের লিংকগুলো দেখা যায়। 'মি-টু' আন্দোলন তোলপাড় সৃষ্টি করেছে দুনিয়া জুড়ে।
যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে দুনিয়া জুড়ে যে 'মি-টু' আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটাকে যদি গুগল ম্যাপে তুলে ধরা হয়, সেটা দেখতে কেমন হবে?
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ব্রিটিশ মডেল ক্লো অ্যালিং 'এটা ছিল আমার জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা' আইনজীবী ফ্রান্সেসকো পেসকি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়সী ক্লো অ্যালিং বন্দি থাকা অবস্থায় কী আচরণ করেছেন, কী ভেবেছেন। দুদিন আগেই ইতালির পুলিশ ব্রিটেনের এই মডেলকে উদ্ধার করে জানায় যে অপরাধীরা তাকে অনলাইনে নিলামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। ওই মডেল একটি ফটো শুটে অংশ নেয়ার জন্য মিলানে গিয়েছিলেন। উদ্ধারের পর মিস অ্যালিং বলেছেন তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। 'ব্ল্যাক ডেথ' নামে একটি গ্রুপ ব্রিটিশ এই মডেলকে অপহরণ করে ছয়দিন আটকে রাখে। মিলানের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ার ২৬ দিন পর রোববার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন ক্লো অ্যালিং। মিস অ্যালিংকে উদ্ধারের পর ইতালির পুলিশ জানিয়েছিল, মিলানে নামার পরই দু'ব্যক্তি ঐ মহিলাকে আক্রমণ করে এবং নেশার ইনজেকশন দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে। এরপর একটি ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে তাকে গাড়ির বুটে তোলা হয় এবং টুরিন শহরের কাছে এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইতালির পুলিশ এই অপহরণের জন্য লুকাস হেরবা নামে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশের তদন্ত বিভাগ বলছে, অপহরণকারীরা বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নারীদের অনলাইনে নিলামে তোলে। সাইটগুলিতে প্রতিটি নারীর ছবির সাথে তাদের বর্ণনা এবং প্রাথমিক মূল্য দেয়া ছিল। তবে ছবিতে দেয়া নারীদের সবাইকে একই ব্যক্তিরা অপহরণ করেছে কি না, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি বলে মিলান পুলিশ বলছে। কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে যে তারা 'ব্ল্যাক ডেথ গ্রুপ' নামে একটি অপরাধী চক্রের সদস্য যাদের মূল ব্যবসা হচ্ছে নারী পাচার। আইনজীবী মি: পেসকি জানাচ্ছেন যে তাঁর 'মক্কলেক মধ্যপ্রাচ্যে যৌনকর্মের জন্য কারো কাছে বিক্রির পরিকল্পনা করছিল অপহরণকারীরা'। মিস অ্যালিং অপহরণকারীদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন কারণ তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছিল। ওই মডেলকে যেভাবে ব্যাগের ভেতর ঢোকানো হয় তা দেখাচ্ছেন ইতালীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা "তাঁকে বলা হয়েছিল আশেপাশে অনেকে তাঁর গতিবিধি নজরে রাখছে। যদি পালানোর চেষ্টা করে বা কোনো চালাকি করে তাহলে তাকে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুত তারা" বলেন মি: পেসকি। "তাই তিনি ভাবলেন অপহরণকারীদের সঙ্গে যাওয়াই হবে সবচেয়ে ভালো কাজ। অপহরণকারী এক ব্যক্তি মিস অ্যালিংকে বলেছিল যে সে তাঁকে মুক্ত করতে চায় তা যেভাবেই হোক"। মিস অ্যালিং ওই ঘটনাকে জীবনের 'ভয়াবহ অভিজ্ঞতা' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন,প্রত্যেক মুহুর্তে তিনি তাঁর জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। "আমি ইতালি ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ, তাদের কারণেই আমি নিরাপদে বেঁচে ফিরেছি" বলেছেন ব্রিটিশ মডেল ক্লো অ্যালিং। এই ঘটনাটি নিয়ে ইতালি, পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চলছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
ব্রিটেনের এক মডেল ক্লো অ্যালিংয়ের আইনজীবী জানাচ্ছেন, মধ্যপ্রাচ্যে 'যৌনদাসী' হিসেবে বিক্রির জন্য হয়তো ইতালির মিলান শহর থেকে মিস অ্যালিংকে অপহরণ করা হয়েছিল।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
আনুষ্ঠানিকভাবে এমা মোরানো ১৮০০-র শতকে জন্ম নেয়া শেষ ব্যক্তি ১৮৯৯ সালে ইটালির পিডমন্ট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমা মোরানো। নথিপত্র অনুযায়ী ১৯০০-র আগে জন্ম নেয়া জীবিত মানুষদের মধ্যে তিনিই ছিলেন শেষ ব্যক্তি। তিনি নিজের দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে তার জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং তার দিনে তিনটি ডিম খাওয়ার অভ্যাসের কথা বলেছিলেন। তিনটি ডিমের মধ্যে দুটিই তিনি কাঁচা খেতেন। মিজ মোরানো ছিলেন আট ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়, যাদের সবাই তার আগেই মারা গেছেন। তিনি উত্তরাঞ্চলীয় ভারবানিয়া শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান। তিনি যে জীবদ্দশায় শুধু তিনটি শতক দেখেছেন তাই নয়, নির্যাতনমূলক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন, তার একমাত্র শিশুপুত্রকেও হারাতে হয়েছে, দুটি বিশ্বযুদ্ধ তিনি দেখেছেন এবং ৯০ বার ইটালির সরকার পরিবর্তন হতে দেখেছেন। "ভাল জিন এবং ডিম" মিজ মোরানো স্বীকার করেছেন যে তার দীর্ঘায়ুর একটি বড় কারণ তার বংশগতি বা জিনগত বৈশিষ্ট্য। তার মাও ৯১ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং তার কয়েকজন বোনও ১০০ বছর পার করেছিলেন। তবে একইসাথে তার দীর্ঘায়ুর পেছনে তার অস্বাভাবিক একটি খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে- দিনে তিনটি ডিম, তার মধ্যে দুটি কাঁচা এবং ৯০ বছরের বেশি সময় যাবত প্রতিদিন তিনি এই খাবার খেয়ে আসছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এক চিকিৎসক তার শরীরে অ্যানিমিয়া শণাক্ত করলে তরুণ বয়সে তিনি এই খাদ্যাভ্যাস শুরু করেন। তবে সম্প্রতি তিনি পরিমাণ কমিয়ে দুটো ডিম খাচ্ছিলেন, সাথে কিছু বিস্কিট। নিজের তরুণ বয়সের ছবির সাথে মিজ মোরানো তার চিকিৎসক কার্লো বাভা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মিজ মোরানো সবজি বা ফল খুবই কম খেতেন। ২৭ বছর যাবত তিনি মিজ মোরানোর চিকিৎসা করেন। "আমি যখন প্রথম তাকে দেখি তখন তিনি দিনে তিনটি ডিম খেতেন, দুটি কাঁচা এবং বিকেলে একটি অমলেট। আর রাতে খেতেন মুরগির মাংস"। "আমি কারো আধিপত্য মেনে নেইনি" মিজ মোরানো তার দীর্ঘায়ুর পেছনে ১৯৩৮ সালে তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে মনে করেন। এর এক বছর আগে তার ৬ মাস বয়সী শিশুপুত্র মারা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তার বিবাহিত জীবন কখনোই ভালো ছিল না। তিনি যেই ছেলেকে ভালোবাসতেন, সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এবং তার অন্য কাউকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছেও ছিল না। ১১২ বছর বয়সে ইটালির লা স্টাম্পা পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, বাধ্য হয়েই তাকে বিয়ে করতে হয়েছিল। "সে আমাকে বলেছিল, আমাকে বিয়ে কর নাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো"। ১১৭ তম জন্মদিনের উৎসবে শেষপর্যন্ত তিনি আর সহ্য করতে পারেননি এবং ১৯৩৮ সালে স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান। যদিও তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেননি এবং ১৯৭৮ সালে তার স্বামী মারা যান। মিজ মোরানো ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করে গেছেন এবং আর কখনো বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। "কারো আধিপত্য আমি মেনে নিতে চাইনি" নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন। মাত্র কয়েক বছর আগে তার দেখভালের জন্য পূর্ণকালীন একজন সাহায্যকারী নেন তিনি। গত ২০ বছর যাবত তিনি তার দুই কক্ষের ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরও হননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেরন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ এখন জ্যামাইকার ভায়োলেট ব্রাউন, যার জন্ম ১৯০০ সালের ১০ই মার্চ। বিবিসি বাংলার আরও খবর: তুরস্কে গণভোট: কী পরিবর্তন আনতে চান এরদোয়ান? উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ ফেসবুক ব্যবহারে সারা পৃথিবীতে দু'নম্বরে ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ১১৭ বছর বয়সে ইটালিতে মারা গেছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কোভিড-১৯র টিকা বানানোর জন্য প্রায় শতাধিক প্রকল্প চলছে বিভিন্ন দেশে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী এই সংস্থাটি অক্সফোর্ডের ওই প্রকল্পে অন্যতম প্রধান পার্টনার বা অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। সংস্থার প্রধান আদার পুনাওয়ালা বলেছেন, তারা ভারতে ওই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কাছে আবেদন করছেন - পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় ওই টিকা উৎপাদনের জন্য তাদের অবকাঠামোও পুরোপুরি তৈরি। তবে সেরাম ইনস্টিটিউটের বানানো টিকা দেশের বাজারে ঠিক কখন আসতে পারে, তা নিয়ে দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও নানা মত আছে। সবেমাত্র সোমবারেই ঘোষণা করা হয়েছে যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা মানবশরীরের জন্য নিরাপদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করতে পারে বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রমাণিত। এই টিকার ১০ কোটি ডোজের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাদের চাহিদা ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছে - আর এটির লার্জ স্কেল বা বিপুল সংখ্যায় উৎপাদনের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্বের যে সাতটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা করেছে তার অন্যতম হল পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ওই সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ভারতে ওই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য তারা এ সপ্তাহেই আবেদন করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা আরো পড়তে পারেন: অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস টিকা নিরাপদ ও রোগ ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিশীল করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে কারা বেশি মারা যাচ্ছেন, কেন? বাংলাদেশে করোনা টেস্টের প্রতি অনাগ্রহ বাড়ছে কেন? জামিন আবেদন করে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা দুই সিকদার ভাইয়ের মি. পুনাওয়ালা আরও বলেন, "এই টিকা উৎপাদনের জন্য আমরা অক্সফোর্ডের প্রধান অংশীদারদের একজন - এবং ভারতে আমরাই একমাত্র সংস্থা যারা এই দায়িত্ব পেয়েছে।" "আমি আগেই একটা বিবৃতিতে জানিয়েছি, আমরা কিন্তু সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে ও নিজেদের ঝুঁকিতে এই টিকার উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।" "ক্লিনিকাল ট্রায়াল ব্যর্থ হলে সেই উদ্যোগ হয়তো জলে যাবে।" "কিন্তু আমাদের বিশ্বাস একটা ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চয় পাওয়া যাবে এবং সে ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু প্রায় ছসাত মাস সময় বাঁচাতে পারব ... এই টিকা বাজারে আনার ক্ষেত্রে একটা 'হেডস্টার্ট' পাব বা অনেক এগিয়ে থেকে শুরু করব।" স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটা নতুন রোগের টিকা বানাতে দশ বছর সময়ও লেগে যেতে পারে - কারণ সেখানে গবেষণা ও উদ্ভাবন ছাড়াও ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনেকগুলো ধাপ জড়িত থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি সারা দুনিয়াকে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাই কয়েক বছরের প্রক্রিয়াটাকে কয়েক মাসের মধ্যে 'ফাস্ট ফরোয়ার্ড' করার চেষ্টা চলছে বহু দেশেই। দিল্লির হিন্দুস্তান টাইমসের স্বাস্থ্য-বিষয়ক সম্পাদক সঞ্চিতা শর্মা মনে করছেন, এই পটভূমিতে বছর শেষ হওয়ার আগেই সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকা বাজারে চলে আসবে এই প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকার ট্রায়ালে প্রাথমিক সাফল্য ঘোষিত হয়েছে ২০শে জুলাই তিনি বলছিলেন, "পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যেই এই টিকার উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে।" "এখন আমার জানা মতে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে যদি ভারতের ট্রায়ালের ফলাফল চলে আসে এবং সেটা ইতিবাচক হয় - তাহলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুনের এই সংস্থাটি অন্তত ১০ লক্ষ টিকা উৎপাদনে সক্ষম।" "সারা দুনিয়ায় এখন কোভিডের টিকা উদ্ভাবনে শতাধিক প্রকল্প চলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রায় বছরখানেক সময় লাগার কথা বলছে।" "তবে আমার ধারণা, অক্সফোর্ডের এই টিকা নিয়ে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে বাকি সব ঠিকঠাক চললে সেরাম ইনস্টিটিউটের বানানো টিকা ২০২০ সালের মধ্যেই বাজারে চলে আসা উচিত", বলছেন মিস শর্মা। তবে ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ মনে করেন, একটা নতুন রোগের টিকা এত তাড়াতাড়ি বাজারে আনা প্রায় অসম্ভব। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের সামর্থ্য নিয়ে হয়তো প্রশ্ন নেই - কিন্তু ক্লিনিকাল ট্রায়ালের এমন কতগুলো ধাপ থাকে যে সময়টা কিছুতেই বাঁচানো সম্ভব নয়। ড: ঘোষের কথায়, "সেরাম ইনস্টিটিউটের সেই ক্ষমতা আছে এবং নিশ্চয় তারা ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। কিন্তু যে কোনও ভ্যাকসিনেরই কার্যকারিতা আসলে নির্ভর করে সেটার ট্রায়ালের ওপর।" জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ "অর্থাৎ আমরা যেটাকে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলি আর কী! ভ্যাকসিনে শরীরে অ্যান্টিবডি তো নিশ্চয় তৈরি হবে, কিন্তু তৈরি হওয়ার পর সেটা কতদিন থাকবে সেটা দেখাটাই আসল ব্যাপার - আর সে জন্যই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। "আর সেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্যই সেরাম ইনস্টিটিউটকে ভ্যাকসিনটা এখানে তৈরি করতে হবে, ট্রায়ালের জন্য ভলান্টিয়ারদেরও বেছে নিতে হবে।" "আর এই ভলান্টিয়ার বাছাইয়েরও একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তাদের বয়স, লিঙ্গ, অন্যান্য অসুস্থতার বিবরণ বা কোমর্বিডিটি সে সব দেখে ভলান্টিয়ার বাছতে হবে এবং সেটা খুবই সময়সাপেক্ষ একটা প্রক্রিয়া।" "বাজারে ভ্যাক্সিন এসে গেল এবং আমরা সবাইকে দিতে শুরু করে দিলাম, সেটা হয়তো পরের বছরের মাঝামাঝি হলেও হতে পারে", বলছিলেন সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছিল গত ২৩শে এপ্রিল, সে পরীক্ষার ফলাফল জানতেও প্রায় তিন মাস সময় লেগেছে। ভারতে ওই টিকা বানানোর আগে সেরাম ইনস্টিটিউটকেও যথাযথ অনুমতি নিয়ে এদেশেও সফল ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে - তারপরই তারা সেটা বাজারে ছাড়তে পারবে। তবে ট্রায়াল শুরু হওয়ার আগেই তারা ওই টিকার লার্জ স্কেল প্রোডাকশনের মহড়া সেরে রেখেছে, যেখানে অনেকে বেশ কিছুটা সময় বাঁচানোর ভরসা দেখছেন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
ভারতের পুনে-ভিত্তিক সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কোভিড-১৯র জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বানানো টিকা তারা শিল্প উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি যদিও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন নির্বাচন কমিশন গত ৩০শে ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই ওই নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ করছিলো বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো। সে সময় নির্বাচন কমিশন থেকে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো। তারপরেও নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এখনো বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। তবে সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা নির্বাচনের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল (রোববার) থেকে সে নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা সিইসি র একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা বলেছেন, "অনিয়ম এগুলো একটা একটা অনুপ্রবেশ করে আর একে প্রতিহত করতে আরেকটা পদক্ষেপ নিতে হয়। আমরা চিন্তা করেছি যে ওগুলোর দরকার নেই আমরা ইভিএম শুরু করবো। তাহলে আর রাতে বাক্স ভর্তির সুযোগ থাকবেনা"। যদিও দু'মাস আগে সংসদ নির্বাচনের পর ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কী? ৭৪ মামলায় কী অভিযোগ এনেছেন বিএনপি প্রার্থীরা? 'প্রশ্নবিদ্ধ, 'অভূতপূর্ব', 'অবিশ্বাস্য': নির্বাচন নিয়ে টিআইবি ভোট গ্রহনের আগেই ব্যালট বক্স ভর্তি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, বিএনপির নানা অভিযোগের প্রসঙ্গেই সমাধান হিসেবে নির্বাচনে ইভিএমের যৌক্তিকতা বোঝাতে গিয়ে সিইসি ওই বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করছেন তারা। "পরাজিতরা যেসব দাবি করে যে ব্যালট ছিনতাই, ব্যালট চুরি কিংবা বাক্স ভরা। এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় হচ্ছে ইভিএম। উনি সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের কথা বার্তায় সতর্ক থাকা উচিত"। তবে চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগে বাক্স ভরা ব্যালট দেখেছিলো বিবিসি সংবাদদাতাও। আবার আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি নির্বাচনে পর ৫০টি আসনের ওপর তাদের করা গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেছিলো এর মধ্যে ৪৭টিতেই কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে এবং ৩৩টি আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে। চট্টগ্রামের কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ তাৎক্ষনিক স্থগিত হলেও অন্য আর কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশনও। তাই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিএনপি ও গণফোরামের অন্তত ৭০ জন প্রার্থী। যদিও সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেই দাবি করেছিলো। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, তারা মনে করছেন এখন সিইসির কথাতেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেছে। "আজকে তার বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেটা রোধ করার জন্যই তিনি ইভিএমের কথা বলেছেন। তার বক্তব্য থেকে সব সত্য উদঘাটিত হয়েছে"। শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের আগের দৃশ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ বলছেন, গত নির্বাচনের কোনো অভিযোগ নিয়েই তদন্ত হয়নি এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো আস্থা নির্বাচন কমিশন তৈরি করতে পারেনি। আর সে কারণেই নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে সিইসির বক্তব্য অর্থহীন বলেই মনে করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, সিইসি নির্বাচনের নানা সমস্যার দিকে আলোকপাত করে আইন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন। তার বক্তব্যের একটি অংশকেই প্রচার করা হচ্ছে। যদিও উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আরেকজন নির্বাচন কমিশনারও সম্প্রতি ঢাকার বাইরে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরা কিংবা ভোটের দিন বা ভোট গণনার সময় কোনো অনিয়ম তারা সহ্য করবেননা। রোববার থেকে শুরু হয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সারা দেশে চার ধাপে এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাল প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিবিসি বাংলার আরও খবর: ফেসবুকে প্রাইভেসি: জাকারবার্গের নতুন পরিকল্পনা 'আইএস বধূ' শামীমা বেগমের শিশু সন্তানটি মারা গেছে দিনের বেলার একটু ঘুম যেভাবে সুস্থ রাখতে পারে
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা ইভিএমে ভোট হলে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার সুযোগ থাকবেনা-বলে যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
তুরস্কের প্রেসিডেেন্টের প্রাসাদে সে দেশের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আমির খান কিন্তু সেই আমির খানের 'অপরাধ' হল তুরস্কে শ্যুটিং করতে গিয়ে তিনি সে দেশের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে (১৫ই আগস্ট) সেই ছবি নিজেই টুইট করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী, জানিয়েছেন বিখ্যাত এই ভারতীয় অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি কতটা আনন্দিত। আমির খান তার ছবি 'লাল সিং চাড্ডা'র শ্যুটিং তুরস্কেরই নানা প্রান্তে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি যে অত্যন্ত খুশি, সে কথাও জানিয়েছেন তুর্কী ফার্স্ট লেডি। আর এরই অভিঘাতে দেশে এখন তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে বলিউড তারকা আমির খানকে। আরএসএস মুখপত্র পাঞ্চজন্য তাদের সাম্প্রতিকতম সংখ্যায় আমির খানকে নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছে, যার শিরোনাম হল 'ড্রাগন-কা প্যায়ারা খান', অর্থাৎ চীনের প্রিয় খান। বিদ্রোহী মঙ্গল পান্ডের ভূমিকায় আমির খান (ডাইনে) আরও পড়তে পারেন: বলিউড ছবি 'পদ্মাবত'-এর বিরুদ্ধে ভারতে জ্বালাও-পোড়াও করোনাভাইরাসের কারণে বলিউড যেভাবে থমকে গেছে একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? সেখানে লেখা হয়েছে, "একদিকে যখন অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো অভিনেতারা একের পর জাতীয়তাবাদী ছবিতে অভিনয় করে নিজেদের দেশপ্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন – তখন আমির খান ভারতের শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখেন না!" তুরস্ক যে তাদের কাশ্মীর নীতিতে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের অবস্থানকেই সমর্থন করে, সে কথাও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে নিবন্ধে। এছাড়া আমির খান যে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভো-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও ভারতে বহুদিন ধরে বিজ্ঞাপন করে আসছেন, উল্লেখ করা হয়েছে সে কথাও। সোজা কথায়, আমির খান যে 'পয়সার জন্য' চীন বা তুরস্কর মতো ভারতের শত্রু দেশগুলোর সাথে হাত মেলাতেও দ্বিধা করেন না, আরএসএস সম্পাদকীয় সরাসরি তার বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই এনেছে। এর ক'দিন আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও আমির খানকে ইঙ্গিত করে বলেছিল, "দেশের কয়েকজন ব্যক্তি ও তারকার ভারত-বিরোধী শক্তিগুলোর প্রতি প্রেম ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে আমরা লক্ষ্য করছি।" তুর্কী ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত আমির খান। ১৫ আগস্ট, ২০২০ বছরকয়েক আগে আমির খান এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও ভারতে থাকতে আতঙ্কিত বোধ করেন কারণ এ দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের পরও আমির খানকে ভারত-ছাড়া করার দাবি তুলেছিল বিভিন্ন সংগঠন। পাঞ্চজন্যর সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর 'দ্য প্রিন্ট' নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, "যে কোনও কারণেই হোক আমির খান কিন্তু চীনা কমিউনিস্ট পার্টির খুব প্রিয় – তারা স্পষ্টতই আমির খানের মুভিকে প্রোমোট করে।" "নিবন্ধে সে কারণেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, "সালমান খানের 'সুলতান' চীনে তেমন না-চললেও আমির খানের 'দঙ্গল' কিন্তু সে দেশে রমরম করে চলেছে ও সুপারহিট হয়েছে।" আমির খান ও তার শ্যুটিং টিম এখন তুরস্কেরই নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তার নির্মীয়মান ছবি 'লাল সিং চাড্ডা'র শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত – তাঁর বা তাঁর সংস্থার পক্ষ থেকে এই সব অভিযোগের ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। আরএসএসের দাবি, আমির খানের এখনই সেই শ্যুটিং বন্ধ করে দেশে ফিরে আসা উচিত – নইলে তারা ধরেই নেবে "দেশের মানুষের ভাবাবেগকে আমির খান দুপয়সাও দাম দেন না!"
বলিউডের যে সুপারস্টাররা নানা দেশপ্রেমমূলক ছবি করেছেন, তাদেরই অন্যতম আমির খান – যার ঝুলিতে আছে 'সরফরোশ', 'মঙ্গল পান্ডে', 'লগান' বা 'রং দে বাসন্তী'-র মতো এই ঘরানার অজস্র জনপ্রিয় মুভি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের ছক্কার পর হতাশ সৌম্য সরকার ভারতের বিপক্ষে শেষ ১ বলে ৫ রান ঠেকানো প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। দিনেশ কার্তিকের ছক্কায় হেরে যায় বাংলাদেশ। মি. হীরা মনে করেন, বাংলাদেশের বোলিং পরিবর্তনে কিছুটা বিচক্ষণতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, "মিরাজ প্রথম ওভারে রান দিয়েছে ঠিক। তবে ওকে আরো ব্যবহার করা যেত, মিরাজ তো প্রতি ওভারে রান দেয় না।" টি-২০তে শেষ চার ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ সেজন্য আগেই বিবেচনা করে রাখতে হয় কে বোলিং করবে। শফিকুল হক হীরার মতে, সৌম্য সরকার নিয়মিত বোলার নয়। আর এমন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে স্লো মিডিয়াম পেস তেমন কার্যকরী হয় না। তিনি বলেন, শেষ ওভারে ১২ রান ঠেকানো কঠিন। ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। ফিল্ডিংয়ে ভারত ২০টি রান বাঁচিয়ে, 'রানিং বিটুইন দি উইকেটে' ২০ রান বাড়তি করার চেষ্টা করে এই ব্যাপারটা টি-২০তে তাদের এগিয়ে রাখে। ভারতের বিপক্ষে শেষ ১ বলে ৫ রান ঠেকানো প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, লিটন দাস যে বলটি সুইপ করে আউট হলেন সেটা ব্যাট রোল করা প্রয়োজন ছিল। ব্যাট সোজা থাকলে সেক্ষেত্রে বল ওপরে ওঠার সুযোগ থাকে। তবে বাংলাদেশের ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রান আউট টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে মনে করেন তিনি। এমনভাবে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার ফলে বেশ কিছু রান কম হয়েছে বলে মনে করেন মি. হীরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ফিল্ডিং ও দ্রুত দৌঁড়ে রান নেয়ার প্রবণতা ভারতকে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নিয়ন্ত্রকদের এই স্বীকৃতির পর সম্ভবত কিছুদিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই টিকার অনুমোদন পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। এটি হবে সে দেশে অনুমোদন পাওয়া কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ভ্যাকসিন এবং ফাইজার ও মডার্নার টিকার অর্থ-সাশ্রয়ী বিকল্প। জনসনের এই টিকা রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। কোন ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়বে না। মানব দেহের ওপর জনসনের এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি সার্বিকভাবে করোনার বিরুদ্ধে ৬৬% কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে টিকাদানে সহায়তা করছে সামরিক বাহিনী। আরও পড়তে পারেন: জনসন অ্যান্ড জনসন যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। ব্রিটেন, ইইউ এবং ক্যানাডাও এই টিকা কেনার অর্ডার দিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় জনসন কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। ট্রায়ালের ফলাফল কী বলছে? যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ তাদের কাছে জনসন অ্যান্ড জনসনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জ্যানসেনের দাখিল করা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে যেখানে মানবদেহের ওপর তাদের টিকার কার্যকারিতার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পর্যালোচনা শেষে এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে এফডিএ বলছে, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ-যুক্ত অসুস্থতা এবং গুরুতর অসুস্থতা - এই দুই ক্ষেত্রেই জনসনের টিকা কার্যকর দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে মানব দেহের ওপর জনসনের টিকার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন 'উচ্চমাত্রায় একই রকম' কার্যকর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে কোভিডের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কম কার্যকর বলে দেখা গেছে। বাংলাদেশে টিকা নিচ্ছেন এক নারী। তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে জনসনের টিকা ৮৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে সার্বিকভাবে মধ্যম মাত্রার অসুস্থতার বিরুদ্ধে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর। কী ঘটবে এরপর? ওষুধ বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি শুক্রবার এক বৈঠকে বসে জনসনের টিকার অনুমোদন দেয়া এফডিএর উচিত হবে কি না, সে বিষয়ে সুপারিশ করবে। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলছেন, এফডিএ-র জরুরি অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে জনসনের অন্তত তিন কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা যাবে বলে প্রশাসন আশা করছে। জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছে, মার্চ মাসের শেষ নাগাদ তারা দুই কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। এবং মার্কিন সরকারের সাথে চুক্তি মতো আগামী জুনের মধ্যে তারা ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যেখানে ফাইজার ও মডার্নার টিকায় দুটি ডোজের প্রয়োজন হয়, সেখানে জনসনের টিকা শুধু এক ডোজই লাগবে না বরং টিকাদানের জন্য রোগীদের জন্য কম অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হবে, এবং কম সংখ্যক চিকিৎসাকর্মী লাগবে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি এক ডোজের ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। অন্য টিকার মতো জনসনের টিকায় দুটি ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হয় না।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাজার থেকে ৫২ টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট বাজার থেকে এসব পণ্য সরিয়ে ধ্বংস করা এবং মানের পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়া পর্যন্ত তার উৎপাদন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের জবাবে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আগামী ১০দিনের ভেতর এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে। রমজান মাস শুরুর আগে খোলা বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট বা বিএসটিআই। এরপর সেসব পণ্য বিএসটিআই-এর ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর মধ্যে ৫২টি পণ্য ল্যাব পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিন যুক্ত লবণ, লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট এবং ঘি। বাজারে ক্রেতাদের কাছে সুপরিচিত বেশ কয়েকটি কোম্পানির পণ্যও রয়েছে এসবের মধ্যে। বিএসটিআই এসব পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেগুলো এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার বা জব্দ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা। সেই রিট আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট এই আদেশ দিলেন। ঢাকার একটি বাজার যেসব পণ্য প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলো হলো:
পরীক্ষায় নিম্নমানের বলে প্রমাণিত ৫২টি খাদ্য পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসব খাদ্য পণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সাধারণত কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে সমুদ্র সৈকতে কিছুটা ঘোরাঘুরি করেন বা ছবি তোলেন। সংগঠন তিনটি হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি যা বেলা নামে পরিচিত, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি ও পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি বা ইয়েসের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, "আমরা আইনি নোটিশ দিয়েছি এবং এখন পাঁচদিনের মধ্যে একটা উত্তর চাই। আমাদের আইনি নোটিশে মূলত বিপন্ন অবস্থায় থাকা ঘোড়াগুলোর একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার আর্জি আছে এবং এখন পর্যন্ত যেসব ঘোড়া মারা গেছে তার ব্যাপারে সুষ্ঠু একটা জবাব চাইছি।" মি. মামুনের অভিযোগ মালিকরা ঘোড়াগুলোর দেখভাল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ঘোড়া দেখভাল করা এতো সহজ কাজ না। আরও পড়তে পারেন: সিলেটে বারবার ভূমিকম্প, উৎপত্তি জৈন্তায়, সতর্ক থাকার পরামর্শ সুন্দরবনের আগুনের সর্বশেষ কী অবস্থা, আগুন কীভাবে লাগলো? যে রহস্যময় রোগটি ধাঁধাঁয় ফেলে দিয়েছে কানাডার ডাক্তারদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার প্রথম বিধিনিষেধ আরোপ করে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। কক্সবাজারের স্থানীয় ঘোড়া মালিক সমিতির হিসেব অনুযায়ী তখন ২০টি ঘোড়া মারা যায়। এবারে মারা গেছে দশটি ঘোড়া। এর মধ্যে আটটি ঘোড়াই ফরিদা ইয়াসমিনের যিনি ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি। সাধারণত কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে সমুদ্র সৈকতে কিছুটা ঘোরাঘুরি করেন বা ছবি তোলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই পর্যটন খাতে যে আঘাত এসেছে তার প্রভাব পড়েছে ঘোড়ার এই ব্যবসার ওপরেও। শেষমেশ ব্যবসার চাহিদা না মেটাতে পেরে ঘোড়াও মারা পড়েছে। ফরিদা ইয়াসমিনের ভাষ্যমতে তারা নানা দ্বারে গিয়েছেন সাহায্যের জন্য কিন্তু যথাযথ সাহায্য পাননি। একটি বেসরকারি মোটর কোম্পানি অবশ্য ৫৫টি ঘোড়ার দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঘোড়ার মরে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। ঘোড়ার মালিকরা বলছেন, না খেতে পেয়েই মারা পড়ছে ঘোড়াগুলো। অনেকে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি খাড়া করে বলেছেন, "আমরাই খেতে পাই না।" কক্সবাজার প্রশাসন একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আইনি নোটিশ দেয়া সংগঠনগুলোকে। এই তদন্ত কমিটি ঘোড়ার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখবে। আরও পড়তে পারেন: উর্দু চলচ্চিত্রে ঢাকার যে অবদান ভুলে গেছে আজকের পাকিস্তান গুম হওয়া সন্তানের খোঁজে মাটি খুঁড়ে চলেছেন কাশ্মিরী পিতা ফাইজারের টিকার মূল চ্যালেঞ্জ অতি কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা
কক্সবাজারের রাস্তায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে ঘোড়া, মৃত্যুও হয়েছে বেশ বড় সংখ্যায়- এমন তথ্য পেয়ে পরিবেশ ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি সংগঠন মিলে একটি আইনি নোটিশ দিয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
মুস্তাফিজুর রহমান শেষ দুই ম্যাচে ২০ ওভার বল করে ১৭৭ রান দিয়েছেন প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ২৬১ - আর মুস্তাফিজ একাই ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ৮৪ রান। তবে দুটো উইকেট নিয়েছেন তিনি। মুস্তাফিজের এর ঠিক আগের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ছিল নিউজিল্যান্ড সিরিজে - যেখানে তিনি রান দিয়েছেন ৯৩। ফলে খুব দ্রুতই প্রশ্ন উঠে গেছে, অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত বলে বিবেচিত এই বোলারের ঠিক কী হলো? "যে স্কিল শুরুতে আমরা দেখেছি, সেখানে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে - ঘাটতির কারণে ব্যাটসম্যানরা খুব সহজে তাকে খেলতে পারছে," মুস্তাফিজ সম্পর্কে বলছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন ন্যাশনাল কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "কিন্তু তার দ্বিতীয় কোনো পরিকল্পনা আছে বলে আমার মনে হয় না। খুব ওয়ান ডায়মেনশনাল - ব্যাটসম্যান যখন ওকে খেলে ফেলে, তখন তার ডিফেন্সের পরিকল্পনা কী, সেটা পরিষ্কার না।" ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল-এ এক সময় খেলেছেন। শুরুতে ভালো করেছিলেন, তবে বাদ পড়তেও খুব একটি বেশী সময় লাগেনি। আইপিএল কি মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে? এ ব্যাপারে মি: ফাহিম বলেন, "আসলে স্কিলটাই মূল ব্যাপার। উইকেট হয়তো কখনো কখনো সাপোর্টিভ ছিল না, তবে যে বোলার আমরা শুরুতে দেখেছি মুস্তাফিজ ঠিক সেই বোলার আর নেই"। "এটাই মূল কারণ। কেননা ভালো খেললে তো বাদ পড়ার কারণ নেই, আর বাদ পড়লে খারাপ লাগবেই। কিন্তু আইপিএলে যে ধরণের ক্রিকেটাররা একাদশের বাইরে থাকেন, তারাও বড় প্লেয়ার, তখন নিজের বাদ পড়াটা তত বড় করে দেখার প্রয়োজন হয় না।" তাহলে মুস্তাফিজের কি ফুরিয়ে যাচ্ছেন? জান্নাত হোসেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন ধারাভাষ্যকার। তিনি বলেন, "শুরু থেকে মুস্তাফিজের যে কাটার দেখেছি, সেটা এখন দেখাই যাচ্ছে না, গতকালের ম্যাচেও মাত্র একটা কাটার ছিল"। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া থাকে, তা কমে যাচ্ছে কি-না এটা একটা ব্যাপার। তবে একজন খেলোয়াড় নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল, সেটাই মূল বিষয়। "মোটাদাগে বাংলাদেশের পেস লাইন আপ বেশ ভালো, মাশরাফী বিন মোত্তর্জা আছেন, সাইফুদ্দিনও বেশ ভালো করছেন, আবু জায়েদ রাহীও ভালো করবেন বলেই মনে হচ্ছে, একমাত্র চিন্তা মুস্তাফিজকে নিয়ে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন জান্নাত। "সে ভালো করলে ভালোই হবে বলে মনে হয় পেস আক্রমণ।" সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে? মুস্তাফিজুর রহমান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুটো উইকেট নিয়েছেন, কিন্তু ১০ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৮৪। পুরো ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তুলেছে ২৬১। ওভারপ্রতি ৫.২২ রান তুলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা, যেখানে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৮.৪ করে রান প্রতি ওভারে। চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩০ রান তোলে। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজ দুটো উইকেট নেন। আরো পড়ুন: ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে যারা রয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফরহাদ ও তাসকিন জার্সি বিতর্ক: পাকিস্তান দলের সঙ্গে কতটা মিল ২০১৫ সালে মুস্তাফিজের গড় ছিল ১২.৩৫, ২০১৯ সালে তা ৪২.৫০ কিন্তু রান দেন ১০ ওভারে ৯৩, প্রতি ওভারে ৯.৩ রান করে। ওই একই সিরিজে মুস্তাফিজ প্রথম দুটো ম্যাচে অবশ্য তুলনামূলকভাবে বেশ কম রান দেন, এক ম্যাচে ৯ ওভারে ৪২, আরেক ম্যাচে ৮ ওভারে ৩৬ রান। তবে এর ঠিক আগে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুটি ওয়ানডে সিরিজে পাচঁটি ম্যাচ খেলেন মুস্তাফিজুর রহমান, যেখানে ৫ ম্যাচে ৭টি উইকেট নেন তিনি। ওই ম্যাচগুলোতে মোট ৪৮ ওভার বল করে ১৯৫ রান দেন, ৪.০৬ গড়ে। এশিয়ায় মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজুর রহমানের এশিয়ায় পরিসংখ্যান এশিয়ার বাইরে মুস্তাফিজুর রহমান ১৬ ম্যাচ এশিয়ার বাইরে দেশে ও দেশের বাইরে মুস্তাফিজুর রহমানের পরিসংখ্যান দেশে ও দেশের বাইরে মুস্তাফিজের পরিসংখ্যান গেল পাঁচ বছরে মুস্তাফিজের প্রদর্শনীর ওঠানামা গেল পাঁচ বছরে মুস্তাফিজের পরিসংখ্যানের রদবদল আরো পড়তে পারেন: যে কারণে ২০ দলীয় জোট ছাড়লো বিজেপি একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন 'প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব' কেন শীর্ষ তালিকায় নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়
আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেশ সহজ জয় পেলেও খেলার ফলাফলের চেয়ে বেশী আলোচনার জন্ম দিয়েছে তারকা বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
অপারেশনের পর মায়ের সাথে বসে আবুল বাজানদার। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মি. বাজানদার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার সাথে মি. বাজানদার কথোপকথনে জানান, তিনি এখন খুলনার পাইকগাছায় নিজ বাড়ীতে রয়েছেন। তিনি বলছিলেন মূলত দুটি কারণে হাসপাতালটি ছেড়ে চলে এসেছেন তিনি। ১. 'সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না' তবে তার উন্নত চিকিৎসার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। তিনি মনে করেন সঠিক চিকিৎসা হলে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। কেন তার মনে হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না - এমন প্রশ্নের জবাবে মি. বাজানদার বলেছেন, 'সেখানকার ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন এটা জেনেটিক সমস্যা, এটা তোমার সারা জীবন থাকবে। এটা সারবে না। এছাড়া প্রথম দিকে যতটা যত্ন নিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, পরের এক বছর সেটা করা হয় নি।" ২. 'স্টাফদের দুর্ব্যবহার' দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলছিলেন, "সেখানকার নার্স এবং যারা কাজ করে তারা মুখে না বললেও তাদের মধ্যে একটা বিরক্তি এসে গেছে আমার প্রতি। আগে আমাকে দুইবেলা খাবার দিত। এখন আমাকে একবেলা খাবার দেয়। এছাড়া আমি কিছু বললে আমাকে পুলিশের ভয় দেখায়।" তিনি বলেন, "এক রকম হতাশা এবং কষ্ট থেকেই আমি চলে এসেছি"। মি. বাজানদার গত ১০ বছর ধরে হাত-পায়ে শেকড়ের মতো গজিয়ে উঠা বিরল এক জেনেটিক রোগে ভুগছিলেন। আরো পড়ুন: বিরল এই বৃক্ষ মানব রোগ হয়েছে বাংলাদেশে একজনেরই হাসপাতাল থেকে পলাতক 'বৃক্ষ-মানব' আবুল বাজানদার আবুল বাজানদার, অপারেশনের আগে। এখন কী অবস্থা 'বৃক্ষমানবের'? গত দু'বছরে তার ওপর মোট ২৫ দফা অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে। এখন তার হাতের কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "কিছু কিছু স্থানে আধা ইঞ্চির মত করে আবারো বেড়েছে। আগে চামচ দিয়ে খেতে পারতাম কিন্তু এখন সেটা করতে অসুবিধা হচ্ছে।" 'চিকিৎসা চাই, তবে ঐ হাসপাতালে না' মি. বাজানদারকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর বা আনুষ্ঠানিকতা থাকে সেগুলো করে এসেছেন কী না? তিনি বলছিলেন " না আমি করি নি। কারণ সেই কাগজে লেখা ছিল আমি স্বেচ্ছায় যাচ্ছি এবং আমি আর চিকিৎসা করবো না। কিন্তু আমি তো চিকিৎসা চাই কিন্তু ঐ হাসপাতালে না। ঐ কাগজে স্বাক্ষর করলে আমি তো আর চিকিৎসার দাবী করতে পারবো না।" এছাড়া হাসপাতালে তার চিকিসতার গাফিলতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। না জানিয়ে চলে যাবে আশা করি নি: চিকিৎসক এদিকে এর আগে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিবিসিকে জানান "কিন্তু কে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, বা কে তাকে খাওয়া দিচ্ছে না, এই ব্যাপারটা সে আমাকে জানাতে পারতো।" ডা. সেন বলছিলেন, "আমি দেখতাম কোন ডাক্তার বা নার্স এর জন্য দায়ী। কিন্তু সে কাউকে কিছু না জানিয়ে যে এভাবে চলে যাবে, তা মোটেই আশা করিনি।" ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার নির্দেশ দেন। তার সব অপারেশন বিনামূল্যে করা হয়। আরো পড়ুন: জার্মানি ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন যে সিরিয়ানরা পাকিস্তানের আর্মি ও নওয়াজ শরীফের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ? এক বছরে ধূমপায়ী কমেছে দশ লাখ, রহস্য কী?
বাংলাদেশে বহুল আলোচিত 'বৃক্ষ মানব' বলে পরিচিত আবুল বাজানদার বলেছেন ঢাকা মেডিকেলে তার চিকিৎসা ঠিক মত হচ্ছিল না বলে তিনি সেখান থেকে চলে এসেছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ঢাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন কয়েকজন। গত সপ্তাহে কক্সবাজারে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জনসংখ্যা এবং সংক্রমণের হার বিবেচনা করে বাংলাদেশকে রেড, ইয়োলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করার পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর তা এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, ৬৬দিনের সাধারণ ছুটির টার্গেট ব্যর্থ হওয়ার পর এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন কতটা ফল দেবে- তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার সরকারের নতুন পরিকল্পনায় ঢাকায় প্রথম যে এলাকাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই পূর্ব রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের মাঝে এই ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভান্তি রয়েছে। সেখানকার একজন বাসিন্দা ডা: ফারহানা আফরিন বলছিলেন, "আমাদের এলাকায় রেড জোন এবং লকডাউনের এই ব্যবস্থায় আসলে কি করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে বাসিন্দাদের অনেকের পরিস্কার কোন ধারণা নেই। অনেকে এটা নিয়ে কনসার্নড, আবার অনেকে কনসার্নড নয় বলে আমার মনে হয়েছে।" স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এই পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় তিন মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ২৭জন। সংক্রমণের সংখ্যা এবং হার বেশি এমন এলাকাগুলোকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে গত ২৬শে মার্চ থেকে ৬৬দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কিন্তু তা ছিল একেবারে ঢিলেঢালা। সেই ছুটির মাঝেই গার্মেন্টস কারখানাগুলো খোলা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষ গ্রামে এবং শহরে যাওয়া আসা করে। সাধারণ ছুটির সময় সেই এপ্রিল মাসে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খোলার কারণে হাজার হাজার শ্রমিকের ঢাকায় আসা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, লকডাউন শব্দ ব্যবহার না করে সাধারণ ছুটি দেয়াটা ছিল প্রথম ভুল। এছাড়া কঠোরভাবে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা না করে ৬৬দিন ছুটি দেয়া হলেও সংক্রমণ ঠেকাতে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও বলেছেন, সরকারের আগের পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ায় এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন কতটা কার্যকর করা সম্ভব হবে-তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। ঢাকায় কলেরা হাসপাতাল আইসিডিডিআরবি'র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: এটিএম ইকবাল আনোয়ার বলেছেন, "এখনতো সরকার মেনেই নিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের সাথে আমাদের লম্বা সময় ধরে চলতে হবে। এখন এটা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা বলা মুশকিল।" তবে সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপের ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে রাজি নন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সাধারণ ছুটির ইতিবাচক প্রভাবের কারণে এক লাফে বিস্ফোরণের দিকে যায়নি বলে তারা মনে করেন। "লকডাউনটা আমাদের সংবিধানে ছিল না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ঘরে থেকে সহযোগিতা করেছে এবং সেকারণে সংক্রমণের ব্যাপক বিস্তার ঘটেনি। সাধারণ ছুটি যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেটা আমাদের সংক্রমণের পরিসংখ্যানই বলছে।" একইসাথে তিনি বলেছেন, "এটা তো জানেনই যে, আমাদের উহান থেকে লোক আনতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের লোক এসেছে। বিভিন্ন কারণে আমরা পারিনি। আর ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ঘনবসতির দেশ। এগুলো অনেক কারণ আছে।" সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকার টোলাবাগ এলাকা এবং মাদারিপুরের শিবচরকে লকডাউন করে ইতিবাচক ফল পাওয়ার বিষয়কে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে মি: হোসেন বলেছেন, এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন সফল হবে বলে তারা মনে করছেন। ঈদে লক্ষ লক্ষ মানুষ গ্রামে গিয়েছিলেন। তবে ঢিলেঢালা সাধারণ ছুটি এবং সেই ছুটি প্রত্যাহারের পর অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড চালু করায় এখন সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সেই প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যা এবং সংক্রমণের হার বিবেচনা করে দেশকে রেড, ইয়োলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছেন। এরপর বিশেষজ্ঞ কমিটি পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করার আলোচনা চালাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন ডা: লেনিন চৌধুরী, তিনি মনে করেন, শুধু জোন ভাগ করে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে রাখলেই সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো যাবে না। "জোনে ভাগ করা হয় এই কারণে যে, রোগীদের চিহ্নিত করে যাতে ব্যবস্থা নেয়া যায়। যেমন ধরেন, একটি ইয়োলো জোনে ৩০জন রোগী আছে। এই ৩০জনকে চিকিৎসার আওতায় এনে তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে একটা ইয়োলো জোনকে সংক্রমণমুক্ত গ্রিন জোনে পরিণত করতে হবে।" "রেড জোনকে কিন্তু পরীক্ষার অভিযানের আওতায় আনতে হবে। এগুলো না করে শুধু জোনে ভাগ করলেই সুফল পাওয়া যাবে না" বলে তিনি বলেছেন। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বক্তব্য হচ্ছে, তারা বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে কার্যকর সব পদক্ষেপই নিচ্ছেন। "রেড জোন চিহ্নিত করে, সেখানে রাস্তাঘাট সব বন্ধ করে দেয়া হবে যাতে বাসিন্দারা মুভমেন্ট করতে না পারে। বাসিন্দারা যারা অনলাইন খাবার কিনে আনতে পারবেন। যারা তা পারবেন না, তাদের জন্য চাল,ডাল বা সবজির বিক্রেতা ভ্যানে করে সরবরাহ করবে।" মি: হোসেন আরও বলেছেন, "করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য জোনের ভিতরে বুথ থাকছে, যেখানে বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এলাকার ভিতরেই ঔষধ এবং ডাক্তার রাখা হচ্ছে, যাদের প্রয়োজন হবে-তারা সেই সুবিধা নিতে পারবেন। এসব ব্যবস্থায় ১৪দিনে একটা জোনে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।" সরকারের সাথে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় শেষ অস্ত্র হিসাবে সরকার এলাকাভিত্তিক লকডাউনের এই পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা না হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই এগুবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে এবার রাজধানী ঢাকার একটি এলাকা পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে মঙ্গলবার রাত থেকে সেই এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নিখোঁজ হওয়ার আগে ফেসবুকে দলটির ছবি গত ২৩ জুন চিয়াং রাই প্রদেশের একটি গুহায় প্রবেশের পর নিখোঁজ হয় ফুটবল টিমের সদস্য ও তাদের কোচ। কিন্তু তাদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় নয়দিন পর পাওয়া গেলেও এখন তাদের সবাইকে গুহার ভিতর থেকে বাইরে বের করে আনাটা আরেকটা চ্যালেঞ্জ। কারন তাদের পানির নিচে দিয়ে আনতে হবে। গুহার প্রবেশ পথে তাদের সাইকেল পাওয়া গিয়েছিলো। এরপর উদ্ধারকারী দল প্রথম খুঁজে পায় তাদের পায়ের জুতা এবং ব্যাগ। গুহার কাছে অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলো আনন্দ প্রকাশ করছে ২৪ শে জুন প্রবল বৃষ্টির পানিতে গুহার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিপাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হতে থাকে তখন পানি তোলার পাম্প বসানো হয়, রোবট ব্যবহার করা হয়। এরপর তারা পায়ের ছাপ আবিষ্কার করে কিন্তু ছেলেদের কোন চিহ্ন পায়নি। যেহেতু বৃষ্টি অব্যাহত ছিল তাই তারা গুহায় ঢোকার অন্য রাস্তা খুঁজতে লাগলো। উদ্ধারকারীরা রীতিমত সময়ের সাথে যুদ্ধ করেছে যাতে করে ভিতরে পানির উচ্চতা বেড়ে না যায়। কিন্তু গুহায় ঢোকার প্রধান প্রবেশ পথটি বৃষ্টির কারণে একেবারে প্রবেশের অযোগ্য হয়ে পরে। এরপর খোঁজা শুরু হয় একটা চিমনি'র। গুহার উত্তর দিকে একটা প্রাকৃতিক চিমনি আবিষ্কার করা হয়। ২৯শে জুন গুহার ভিতরে বন্যার পানি কমতে শুরু করে। উদ্ধার-কর্মীদের এটাই সুযোগ করে দেয় ভিতরে ঢোকার, আশা বাড়তে থাকে। সোমবার রাতে খবর আসে, তাদের সবাইকে জীবিত এবং নিরাপদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই খবরে, অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলো আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করেছে। এখন চলছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা। আর সেজন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন স্বজনেরা।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে ১২জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচ থাইল্যান্ডের একটি গুহার মধ্যে হারিয়ে যান।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ইউরোপে যেতে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। লিবিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এ বছরের জানুয়ারি মাসের ছবি। ইটালি যাবার কথা ছিল তার। কিন্তু খবর এলো হাজারো মাইল দুরে কোন এক সমুদ্রে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। তার চাচাতো ভাই রাবেল আহমেদ বলছেন, "ও দালালের মাধ্যমে গেছিলো। গত ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটে করে দুবাইতে নিছে। দুবাইতে সপ্তাহ-দশ দিন দুবাইতে রাখা হইছে। এর পরে তুর্কি। তার পর লিবিয়াতে পাঠাইছে।" দুই বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন আফজাল মাহমুদ। যার পরিবারের আরও অনেক পুরুষ সদস্য ইতিমধ্যেই ইতালি ও ফ্রান্সে থাকেন। আরো পড়ুন: 'আল্লাহ আমাদের বাঁচাতে জেলেদের পাঠিয়েছিল' ইটালি যেতে গিয়ে সাগরে ডুবে বহু বাংলাদেশী নিহত 'দেখেছি মায়ের পাশেই তার মৃত শিশুর মরদেহ ভাসছে' বড় ভাইদের পথ ধরে তিনিও যাচ্ছিলেন। যাবার জন্য দেশি দালালদের বেশ বড় অংকের অর্থও দিয়েছিলেন। যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি ইতালি যাচ্ছিলেন তার মধ্যে যে সমুদ্রও পাড়ি দিতে হবে সেই তথ্য কিছুই তারা জানতেন না বলছিলেন রাবেল আহমেদ। তিনি বলছেন, "এই রকম তো আমরা কোনদিন কল্পনাও করি নাই। দালালে আমাদের অনেক আশা দিছে। ভালো বিমানে দিবো বা ভালো সুযোগ সুবিধা দিবো। সুন্দরভাবে ইতালি পৌঁছাইব। পানির কোন সিস্টেম নাই ওইভাবে পাঠান হইবো। পরে শুনি যে একটা ছোট্ট ট্রলারে দিছে। যার মধ্যে ৯০ থেকে ৮০ জন মানুষ আছিলো। কতক্ষণ পর ট্রলারটা চেঞ্জ করছে। তার কতক্ষণ পর সেটা ডুবি গেছে।" তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বিশ্রাম নিচ্ছেন বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি সহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশি নাগরিক। সেই নৌকাতেই ছিলেন আফজাল মাহমুদ। মি. আহমেদ বলছেন, এসব তথ্য মিলেছে তিউনিসিয়ায় থাকা পরিচিতদের কাছ থেকে। কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার যেসব কাহিনী শোনো গেছে তার সাথে আফজাল মাহমুদের গল্প যেন অনেকটাই একই রকম। লিবিয়া, তুরস্ক হয়ে ইতালি অথবা গ্রীস, এই নামগুলোই বারবার আসছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক অথবা সাব সাহারা অঞ্চলের কিছু দেশের অধিবাসীরা এই রুট ব্যবহার করে। সেটাই ছিল প্রবণতা। কিন্তু বাংলাদেশিরা হাজার মাইল দুরের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার এই পথ কেন বেছে নিচ্ছেন? ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলছেন, কিভাবে তার শুরু। তিনি বলছেন, "২০১০ সালের দিকে প্রচুর বাংলাদেশি লিবিয়াতে কাজ করতো। লিবিয়াতে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন অনেকেই বাংলাদেশে চলে আসেন। ৩৭ হাজারের মতো। আর একটা বড় অংশ যারা আসতে পারেননি তখন তারা কোনও না কোনভাবে ইউরোপ ঢোকার চেষ্টা করে। তখন থেকেই ওই পথটা খুব পপুলার হয়ে ওঠে। মানব-পাচার চক্র গড়ে ওঠে যারা বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া তারপর ইউরোপ নিয়ে যাবে। এখনো তারা এই ঝুঁকিটা নিচ্ছে।" লিবিয়ার সর্ব পশ্চিমের উপকূল থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের দূরত্ব সমুদ্রপথে প্রায় ৩০০ মাইল। একটি আধুনিক নৌযানে এই পথ পাড়ি দেয়া কোন মুশকিল নয় কিন্তু পাচারকারীরা গাদাগাদি করে ছোট নৌকা কখনো কখনো এমনকি বাতাস দিয়ে ফুলানো ডিঙিতে করে অভিবাসীদের বেশ কিছুটা পথ নিয়ে যান। আর সেজন্যেই এত দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছর ডিসেম্বরে স্পেনের মালাগা বন্দরনগরীর কাছে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি কয়েক যুবক। আইওএমের ২০১৭ সালে একটি জরীপে দেখা গেছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ঢোকার চেষ্টা করেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশিরা রয়েছেন সেরকম প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বিষয়ক পরিদপ্তর ইওরোষ্ট্যাটের তথ্যমতে ২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যেসব দেশের নাগরিকেরা ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করেছে সেরকম প্রথম দিকের দশটি দেশের তালিকাতেও বাংলাদেশ রয়েছে। বাংলাদেশিরা যেকোনো মূল্যেই যেন দেশ ছাড়তে চান। ইউরোপ যেতে পারলেই যেন ভাগ্য খুলে যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তর সচিব মানব-পাচার বিরোধী টাস্কফোর্সের ফোকাল পয়েন্ট আবু বকর ছিদ্দীক, তরুণ প্রজন্মের এমন একটা মনোভাবকেই দায়ী করছেন। তিনি বলছেন, " কোন লিগাল কাগজপত্র থাকে না তবুও তারা যাবেই। এমনও লোক আছে যে পাঁচ বছর ধরে যাচ্ছেই। জার্মানি পর্যন্ত তার যেতেই হবে। সে প্রথম গিয়েছে ইরাক। সেখান থেকে সিরিয়া, সেখান থেকে ইস্তাম্বুল, সেখান থেকে গ্রীস। এভাবে বিভিন্ন যায়গায় সে আটকা পড়েছে জেল খেটেছে, আবার ট্রাফিকারদের টাকা দিয়েছে। বাঁচুক আর মরুক জার্মানি যেতে হবে। দেখা গেলো সেখানেও যে এসাইলামও পায়না। মানবেতর জীবনযাপন করে।" বিদেশ যাওয়ার এই প্রবণতাকে তিনি বলছেন 'বেপরোয়া আচরণ'। এমন অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে ইউরোপের দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ কাজ করছেন বলে জানালেন তিনি। ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলছেন এরকম ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশ যাত্রা ঠেকাতে একক দেশ নয় বরং একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ছাড়া আর সমাধান নেই। তার মতে, "আপনি এইখান থেকে ঠেকাতে পারবেন না। লিবিয়া থেকে ঠেকাতে হবে। যারা যাচ্ছে তারা লিবিয়া থেকে যাচ্ছে। আর আন্তর্জাতিক মানব-পাচারকারী যে চক্র তার পেছনে অনেক বড় বাণিজ্য রয়েছে। আমাদের আন্তরিকতা নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন কিন্তু লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার যে চেষ্টা সেখানে বাংলাদেশ সরকার বা দূতাবাস খুব শক্ত ভূমিকা নিয়ে প্রতিহত করতে পারবে এমনটা ভাবাটা আসলে সম্ভব না। আন্তর্জাতিকভাবেই আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।" ওদিকে হাওরতলা গ্রামের আফজাল মাহমুদের পরিবার এখন অপেক্ষায় আছেন কোন একটা খবরের। হয়ত মরদেহ পাবেন সেই আশঙ্কায় রয়েছেন। আর রাবেল আহমেদ বলছেন তিনি দালালদের বিচার চান। অন্যান্য খবর: যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট টাইম ম্যাগাজিনে মোদি: বিজেপি কেন এত ক্ষিপ্ত 'আটজনের কাছে বিক্রি করা হয়, ধর্ষণ করতো তিনজন'
সুনামগঞ্জের গোলাবগঞ্জ উপজেলার হাওরতলা গ্রামে আফজাল মাহমুদের বাড়িতে আজ শোকে বিহ্বল সবাই।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দ্য টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক: মুসলিম এবং ইহুদী উভয় ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান ইউনেস্কোর এক বৈঠকে গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি হেবরনের পুরনো নগর কেন্দ্র এবং সেখানে অবস্থিত 'টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক'কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। ইউনেস্কো একই সঙ্গে এই জায়গাটিকে বিপন্ন ঐতিহ্যের একটি তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করেছে। হেবরনে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি থাকেন। শহরটির মুসলিম ঐতিহ্য ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। 'টম্ব অব দ্য প্যাট্যিয়ার্ক' বা 'আদি পিতাদের সমাধি' বিশ্বের তিনটি প্রধান একেশ্বরবাদী ধর্ম- ইসলাম, খ্রীষ্টান এবং ইহুদী, সবার কাছে পবিত্র এক স্থান। এটি আব্রাহাম , আইজ্যাক এবং জ্যাকবের সমাধিস্থল হিসেবে পরিচিত। ইহুদীদের কাছে এটি দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান। আর ইসলামে একটি চতুর্থ পবিত্রতম স্থান। ফিলিস্তিনি এবং ইহুদীদের মধ্যে এই জায়গাটি নিয়ে অতীতে বহু বার সংঘাত হয়েছে। কয়েকশো ইহুদী এর কাছে গিয়ে বসতি গেড়েছে। অন্যদিকে হেবরনের পুরনো শহরে থাকে প্রায় দু লাখ ফিলিস্তিনি থাকে। ফিলিস্তিনিরা আশংকা করছে, ইসরায়েল সেখানে যেসব তৎপরতা চালাচ্ছে, তাতে এটির ঐতিহ্য বিপন্ন হতে পারে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করছে, ইসরায়েলে সেখানে আন্তর্জাতিক আইন এবং রীতিনীতি লংঘন করে বিভিন্ন ঐতিহ্য ধ্বংস করছে, বাড়ীঘরের ক্ষতি করছে। তারা এই শহরের ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংস করে ফেলতে চাইছে। টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি তারা প্রতি বছর পর্যালোচনা করবে এবং এটি সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। ইসরায়েল অবশ্য ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি হাজার হাজার বছরের ইহুদী ঐতিহ্যের অংশ। পোল্যান্ডের ক্র্যাকো শহরে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির যে বৈঠক চলছে, সেখানে গোপন ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনিদের প্রস্তাবটি পাশ হয়। 'টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক' এর বাইরে প্রার্থনা করছেন কয়েকজন গোঁড়া ইহুদী। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আজকে ফিলিস্তিন এবং সারা বিশ্ব হেবরনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উদযাপন করছে। এটি দেশ, কাল, ধর্ম, রাজনীতি, আদর্শের উপরে এক মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু ইসরায়েলি শিক্ষা মন্ত্রী নাফটালি বেনেট অভিযোগ করেছেন, ইউনেস্কোকে তার দেশের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন, "হেবরনের সঙ্গে ইহুদীদের সম্পর্ক হাজার হাজার বছরের। এটি হচ্ছে কিং ডেভিডের জন্ম স্থান, এখানে রয়েছে টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক।" তিনি ইউনেস্কোর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৯৭ সালের এক চুক্তির অধীনে হেবরনকে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। শহরটির আশি শতাংশ এলাকা থেকে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হয়। শহরের পুরোনো অংশ এবং টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে।
ইউনেস্কো ফিলিস্তিনি শহর হেবরনের পুরনো নগর কেন্দ্রকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' বা বিশ্ব ঐতিহ্য বলে ঘোষণা দেয়ার পর এর বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পুলিশ বলছে, বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতিতে কাজ করছে সুসংগঠিত চক্র। এর মধ্যে রোববার(১৩ই সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এদের মধ্যে রয়েছেন দুই জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, দুই জন দালালচক্রের সদস্য এবং একজন যিনি জাল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, ভুয়া এনআইডি তৈরি করে তারা ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের সহযোগিতা করতো। নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে যাদের ঋণ দরকার কিন্তু আগের রেকর্ড খারাপ আছে, লোন হচ্ছে না নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাদের দেয়া হতো। তারা নতুন আইডি কার্ড ব্যবহার করে লোন নিতো বলে জানান মি. আলম। এদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গত ১১ই সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে অন্যের জমি বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: বিদেশে বসে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন যেভাবে প্রবাসীদের ভোটার করার কাজ শুরু হচ্ছে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু:'২০ লাখ টাকায় আপোষের প্রস্তাব দিয়েছিল' কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এদের মধ্যে তিন জন রিমান্ডে রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ভুয়া করোনা প্রতিবেদন দেয়ার মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর কাছ থেকেও একাধিক এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। এর আগে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। যাদের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের কয়েক জন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি পলাশ কান্তি নাথ বলেন, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে তিন জন জামিনে রয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক দপ্তরের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এনআইডি কী কাজে লাগে? বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এবং বিভিন্ন ধরণের নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার হয়। মোট ২২ ধরণের কাজের ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সরকারি সব অনলাইন সুবিধা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, সম্পত্তি কেনাবেচা, আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন প্রাপ্তি, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ই-পাসপোর্ট, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণগ্রহণ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি, বিআইএন, শেয়ার-বিও একাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বীমা স্কিম, ই-গভর্নেন্স, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ। সম্প্রতি রেলের টিকেট কাটার জন্যও জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কীভাবে কাজ করে জালিয়াত চক্র? নকল জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি তৈরি করার পেছনে বিভিন্ন পর্যায়ে একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করে বলে জানায় পুলিশ। এই চক্র যাদের এনআইডি কার্ড দরকার তাদের সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তথ্য প্রবেশ করানোর পর্যন্ত সব পর্যায়ে লোকজন রয়েছে বলে জানা যায়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, এ পর্যন্ত তদন্তে তারা যা জানতে পেরেছেন তা হচ্ছে, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মাধ্যমে পুরো কাজটি করা হয়ে থাকে। "ডাটা এন্ট্রি অপারেটর অনলাইনে এনআইডি কার্ডের ফর্ম পূরণ করে দেয়। এদের অগাধ ক্ষমতা এন্ট্রি দেয়ার। কারণ এরা যা এন্ট্রি দেয় সেটাই ফাইনাল।" তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা নির্বাচন কমিশনে আউটসোর্সিংয়ের কাজে নিয়োজিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। ফলে এ কাজটি তাদের জন্য কোন সমস্যাই নয়। একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি থাকলে সেটির নোটিফিকেশন আসতে একবছরের মতো সময় লাগে। এই এক বছরের মধ্যে জালিয়াত চক্রের উদ্দেশ্য সফল হয়ে যায় বলে জানান মি. আলম। "যদি ডাবল এন্ট্রির কারণে ভবিষ্যতে কোন নোটিফিকেশন আসে তো সেটি ঝুলে থাকে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আসতে এক বছর লাগে। সেক্ষেত্রে কোনটি বাতিল হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেক সময় বাতিলও করা হয় না।" তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ারা জানিয়েছেন, এই এক বছরের মধ্যে তারা কয়েক'শ নকল এনআইডি বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার টার্গেটে ছিল। এর পর তারা ডাটা এন্ট্রির চাকরি ছেড়ে দিতো যাতে কেউ ধরতে না পারে। পুলিশ জানায়, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মাধ্যমে এনআইডি জালিয়াতির কাজটি করা হয়ে থাকে। জাল এনআইডি তৈরির চক্রের বিষয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের এডিসি পলাশ কান্তি নাথ বলেন, "এই চক্রটি কিভাবে কাজ করে সেটা এক কথায় বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্ত থেকে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে, তারা স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য প্রথম যে উপকরণ সেটি হচ্ছে জন্ম সনদ, সেটি আগে সংগ্রহ করে।" এই কাজের জন্য তাদের আলাদা চ্যানেল বা সোর্স থাকে। যাদের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড তৈরির কাজগুলো তারা পেয়ে থাকে বলে জানানো হয়। "এর পর চক্রের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের ফর্ম পূরণ করে সেই তথ্য সার্ভারে আপলোড করে। এর পর যাচাই বাছাইয়ের পর চক্রটি ঠিক ঠাক কাজ করতে পারলে এনআইডি কার্ড পেয়ে যেতো।" মি. নাথ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে যে চক্রটি গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে এমন সদস্যও রয়েছে। তারাই সার্ভারে তথ্য আপলোড দেয়ার কাজ করতো। তবে এ ধরণের ঘটনা শুধু চট্টগ্রামে নয় বরং ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে বলেও জানান তি. নাথ। তিনি বলেন, "গতকাল বা পরশু ঢাকা থেকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্থাৎ চিটাগাং-ঢাকা মিলে একটা চক্র তো আছেই।" কী ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন? এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জালিয়াতি রুখতে এ সপ্তাহের শেষ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সাড়াশি অভিযান। এ-তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, "আমরা একটা সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছি যাতে বিভিন্ন দিক থেকে যেমন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, দালালচক্র বা কমিশনের কেউ থাকলে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা যায়, সেজন্য বড় ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।" এর জন্য সারা দেশে অঞ্চল ভিত্তিক ১০টি টিম গঠন করা হচ্ছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। কোন ধরণের অনিয়ম পেলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এটি এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলে পরিকল্পনাটি চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে শুরু হবে বলে জানান মি. ইসলাম। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের ঘটনা উল্লেখ করে মি. ইসলাম বলেন, দুই জনের গ্রেফতারের বিষয়টি দেখেছেন। তাই একাজে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, "ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান এনআইডি কার্ড তৈরিতে আউট সোর্সিংয়ের কাজ করে থাকে তাদেরকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে যে তারা কেন তাদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।" বিবিসি বাংলার আরো খবর পড়ুন: হিন্দি ভাষা দিবস উদযাপনের বিরুদ্ধে ভারতেই কেন বিরোধিতা? শ্রীলংকার শর্ত মেনে টেস্ট খেলতে যেতে নারাজ বাংলাদেশ যে চারটি অভিযোগে কুয়েতে বিচার হতে যাচ্ছে এমপি পাপুলের মৃত্যুর সংখ্যায় করোনাভাইরাসের উৎস দেশ চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অপরাধের ক্ষেত্রে নকল জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করার উল্লেখ পাওয়া যায়। যা নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ত্রিশ বছর আগে পাতায়াতে সোমাই ও তার স্বামী সেক্স ট্যুরিজমের জন্য পরিচিত থাইল্যান্ডের পাতায়া শহরে পঁচিশ বছর আগে ভ্রমণে গিয়ে ছিলেন ডেনমার্কের নেইলস মলবায়েক। সেখানে তার পরিচয় হয় থাই নারী সোমাই-এর সাথে। সে সম্পর্কে নেইলস নিজেই বলছেন, "২৪ বছর আগে সেসব কিছুই আপনার মাথায় আসবে না, কেবল প্রেম ছাড়া"। এখন একতলা একটি বাসায় তাদের আবাস সেখানে বসে যখন কথাগুলো বলছিলেন তখন সোমাই এর পাশে তার দুই ভাগ্নি, যাদেরকে সে বড় করেছে। তাদের পাশেই বসা তার প্রাক্তন স্বামীর বোন। এবং তার পরেই উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে তার নিজের গ্রাম থেকে আসা এক বান্ধবী। টেবিলে যিনি খাবার পরিবেশন করছিলেন তিনি সোমাই এর ভাগ্নের সাবেক স্ত্রী যে সম্প্রতি এই শহরে এসেছে। এই টেবিলে বসা সকল নারীকে একজন ডেনিশ পুরুষদের সাথে বিয়ের মাধ্যমে সঙ্গী খুঁজে দিয়েছেন সোমাই। প্রায় ৩০ বছর আগে পাতায়া বিচে সোমাই এবং তার স্বামী খবরের কাগজে সে থাই নারীদের প্রোফাইল দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতো, এরপর তার বাড়িতেই সম্ভাব্য পাত্রদের সাথে তাদের প্রথম সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতেন এবং ভিনদেশের মাটি ও ভাষার মাঝে তাদের নতুন জীবন শুরুর জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। ৩০ বছর আগে এই প্রত্যন্ত মৎস্য-প্রধান জেলাটিতে সোমাই ছিলেন একমাত্র থাই নাগরিক। এখন সে এলাকাটি জুড়ে প্রায় ১০০০ জন থাই নারী , যাদের বেশিরভাগই বৈবাহিক সূত্রে বাসিন্দা। নারী ও পুরষেরা সাধারণত আলাদা টেবিলে বসে খেয়ে থাকেন ডেনিশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম ডিআর এর তথ্য মতে, পুরো দেশ মাত্র ১২ হাজার ৬২৫জন থাই নাগরিক রয়েছেন আর তাদের মধ্যে ১০হাজার ৪৯৫ জন নারী। "সোমাই কতজন থাই নারীকে বিয়েতে সহায়তা করেছেন?" এই প্রশ্ন তাকে প্রায়ই শূনতে হয়। কিন্তু তার উত্তর, "আমি গণনা ছেড়ে দিয়েছি। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বহু থাই-ডেনিশ জুটির ওপর নজর রাখার পর দুই পরিচালক সাইন প্লামবিচ এবং জানুস মেটয হার্টবাউন্ড নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। গতবছর টরোন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেটির প্রিমিয়ার শো হয়। অ্যামেরিকান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নৃবিজ্ঞানী বিষয়ক ফিচার ফিল্ম হিসেবে এবং ডাবলিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হিউম্যান রাইটস ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পায় । স্বামীর চিঠি পড়ার আগে অনুবাদ করতে হতো অন্য ধরনের ভালবাসা সোমাই পাতায়ায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হওয়া হবু বরের কাছ থেকে ১৯৯১ সালে পাওয়া চিঠি দেখান যেখানে লেখা, "আমি উপলব্ধি করলাম যে আবার যদি তোমাকে দেখেতে না পাই আমার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। তুমি চাইলে আমার সাথে এসে থাকতে পারো এবং ডেনমার্কে জীবন কেমন সেটাও জানতে পারবে"। বর্তমানে ৬৬ বছর বয়সী সোমাই বাস্তব জীবনেও হুবহু যেন তথ্যচিত্রের চরিত্র, এখনো প্রাণবন্ত এবং সক্রিয়। নিজের জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তার বক্তব্য, "আমি বিদেশীদের বোঝাতে চাই যে আমরা এখানে শুধু টাকার জন্যই আসিনি। থাই মেয়েরা এখানে আসে কাজের জন্য এবং আমরা প্রচুর পরিশ্রম করি। এটা ফুল বিছানো কোন পথ নয়"। সোমাইর কথা যেন তথ্যচিত্রেরই প্রথম দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেবে। যেখানে দেখা যায়, তার ভাগ্নি কেবলমাত্র দেশ ছেড়ে এসেছে এবং একজন ডেনিশ পুরুষের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আর তাদের মাঝখানে একমাত্র সেতুবন্ধন একটি থাই-ডেনিশ অভিধান। সোমাই এর একজন ভাগ্নি এবং তার ডেনিশ স্বামী ও সন্তান ১০ বছর ধরে নৃ-বিজ্ঞানী প্লামবিচ এবং পরিচালক মেটয থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কে বহু দম্পতিকে অনুসরণ করে। সোমাইর ভাগ্নি যে বিয়ের জন্য এসেছে, একজন থাই নারীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদের পর একজন ডেনিশ পুরুষের দুর্দশা, একজন যৌনকর্মী যাকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে থাইল্যান্ডে নিজের গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছে। এবং সোমাই নিজে যিনি এখন থাইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। ডেনমার্কের জুটল্যান্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের বাড়িতে সোমাই ও তার স্বামী ২৫ বছর আগে সোমাই প্রথম একটি থাই-ডেনিশ জুটিকে গাঁটছড়া বাধার উদ্যোগ সম্পন্ন করেন। মেয়েটি ছিল স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার তার গ্রামের একটি মেয়ে। এবং এরপর " একটার পর একটা, আমার কাজিন, প্রাক্তন স্বামীর বোন এবং একই গ্রামের কেউ না কেউ। এরপর আমার ভাইয়ে ভাগ্নি" এভাবে আরও অনেককে তিনি আনেন থাইল্যান্ডে থেকে। প্রক্রিয়া সম্পর্কে সোমাই জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, সেসব কোপেনহেগেন থেকে কেউ না কেউ দেখে। এরপর আগ্রহী কাউকে কাউকে বাসায় আসতে বলা হয়। হার্টবাউন্ড তথ্যচিত্রের জন্য দশ বছর ধরে থাই-ডেনিশ দম্পতিদের ওপর নজর রাখছিলেন নির্মাতা জুটি মিলিয়ে দেয়ার কাজটি করলেও, এসবের বিনিময়ে কোনদিন চাননি কিংবা পাননি সোমাই। "আমি কারো জন্য ভালকিছু করতে পেরেছি যেটা তার পরিবারের আরও উন্নতির জন্য কাজে লেগেছে এতেই আমি গর্ববোধ করি। এমনো নারীরা আছে যাদের আগে কিছুই ছিল না, কিন্তু এখন তারা তাদের বাবামাকে খাবার কিনে দিতে পারছে, তাদের জন্য ঘুর বানিয়ে দিচ্ছে।"। তথ্যচিত্রের নির্মাতা জানুস মেটয এবং সাইন প্লামবিচ থাইল্যান্ডে এখনো যারা বিদেশীদের বিয়ে করে তাদের বিরুদ্ধে একধরনের কুসংস্কার-পূর্ণ ধারণা প্রচলিত আছে, এমনকি আজকের যুগেও । তথ্যচিত্রে দেখা যায়, অন্যান্য ডেনিশ নাগরিকদের পাশাপাশি সোমাই কঠোর পরিশ্রমী করছেন, এবং তার ভাগ্নির জন্য বিয়ে টাকা তৈরির কোনও পথ নয় কিন্তু কাজ পাওয়ার জন্য সুযোগ এবং উপার্জনের পথ খুলে দেবে। এটাই কি ভালবাসা? জানতে চাইলে সোমাই বলেন, "এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমরা যখন অল্পবয়সী ছিলাম বিষয়টি হয়তো তখন বিষয়টি একরকম ছিলনা। এটা কঠিন বিষয়, এটা গভীর বন্ধন, একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া। অন্য ধরনের ভালবাসা"। ১৯৯৯ সাল থেকে ডেনিশ পুরুষ ও থাই নারীর মধ্যে গড়ে প্রতিবছর ২৫৩টি বিয়ে হয়। বিচ্ছেদের হার ছিল ৬০-৬৫%। সোমাই রান্নায় ব্যস্ত দারিদ্র শুধু থাই নারীদেরই নয়, যেকোন দেশে নারীদের বিদেশী পুরুষদের বিয়ে করা এবং তাদের সাথে বিদেশে চলে যাওয়ার মানে হল দেশটিতে অর্থনৈতিক বৈষম্য দায়ী। ১০ জনের পরিবারের জন্য খাবার জোটাতেই একদিন পাতায় কাজের খোঁজে বের হয়ে গিয়েছিল সোমাই। যদিও কী কাজ করে তাকে এই অর্থ উপার্জন করতে হবে সেটা সম্পর্কেও তার পূর্ণ ধারণা ছিল। সেটা ছিল যৌনকর্মীর পেশা। কবে থেকে থাই নাগরিকেরা বিদেশীদের বিয়ে করতে শুরু করে তার আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য নেই তবে এই ধারাটি চালু হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে যখন থাইল্যান্ডকে আমেরিকা সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতো। এইসব নারীদের তাদের নিজেদের দেশ যা দিতে পারেনি ডেনমার্কে অভিবাসন তাদের সেটাই জুটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে এটা কারো ব্যক্তিগত পছন্দ এবং বিশ্বায়নের অংশ। সোমাই জানায় তার মতো যে কারও ক্ষেত্রে যেকোনমূল্যে দেশ ছাড়ার চিন্তার পেছনে অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সন্তানদের শিক্ষা এবং বাবা-মার সুস্বাস্থ্য। যদি কাজ এবং সমাজকল্যাণ ব্যবস্থা থাকতো প্রত্যেকেই তার পরিবারের সাথে ঘরে থাকবে। কিন্তু এভাবে কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারে? থাইল্যান্ডে বসবাস দারুণ, কেউ মারা যাচ্ছে না, কিন্তু সেটা এর চেয়ে আর ভালো হবেনা। এটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত এমনই থাকবে।
ডেনমার্কের ছোট্ট একটি একটি জেলা থাই যেখানে প্রায় ১০০০ থাই নারী বসবাস করছে। এটি মূলত বেড়েছে গত দশ বছরে কারণ সেখানে সোমাই নামে একজন সাবেক যৌনকর্মী আরও অনেক থাই নারীকে ডেনিশ সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরে গিয়েছে ভারত ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ক্রিকেট ভক্ত হতাশ হয়েছে দু'বারের বিশ্বকাপজয়ীদের এই হারে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরেছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কিছু খবর যা আপনি পড়তে পারেন: ভারত কি নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে? বাংলাদেশকে 'চিবিয়ে খাব' বিজ্ঞাপন নিয়ে ভারতে বিতর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচ স্টিভ রোডস বরখাস্ত বলা হচ্ছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে ত্রিনিদাদে হেরে বিদায় নেয়ার পর বিশ্বকাপে মঞ্চে এটি ভারতের সবচেয়ে বাজে হার। ক্রিকেটে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দলটি ঐ আসরে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই বাদ পড়ে যায়। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তাহলে কি ভিরাট কোহলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নীতি অনুসরণ করার কথা বলছেন? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "হয়তো, যদি পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে থাকার কোনো গুরুত্ব থাকে, তাহলে এখানে একটা যুক্তিসঙ্গত জায়গা আছে আমার কথার, তবে আমি জানি না কি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।" আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর আর দুই নম্বর দল প্রথমে কোয়ালিফায়ার খেলে, যেখানে হেরে গেলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুযোগ থাকে ফাইনালে ওঠার। "আপনি পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে আছেন, এরপর অল্প সময়ের জন্য বাজে খেললেন এবং আপনি বাদ, এটা আপনাকে মেনে নিতে হচ্ছে।" "আগে কে কী করেছে সেটা ব্যাপার না, এটা একটা আনকোরা, নতুন দিন, আপনি যদি যথেষ্ট ভালো না হন, আপনাকে বাড়ি যেতে হবে, এটাই বাস্তবতা।" ভিরাট যোগ করেন, দল দু:খ পেয়েছে, কিন্তু সেটা খুব বেশি না, কারণ যে মানে ক্রিকেট খেলেছে তারা তাতে সন্তুষ্ট। "আমরা পুরো টুর্নামেন্টে ৪৫ মিনিট বাজে ক্রিকেট খেলেছি, সেটার মূল্য দিতে হলো", বলেন ভারতের অধিনায়ক। ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালটির বৃষ্টির বাধায় একদিনে শেষ হয়নি। প্রথমদিন নিউজিল্যান্ড ব্যাট করলেও ভারত ব্যাটিংয়ে নামে পরেরদিন। শেষপর্যন্ত ১৮ রানে হেরে আসর শেষ করে তারা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন? খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিদায়ের পর ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ভিরাট কোহলি বলছেন বিশ্বকাপের ফরম্যাটে পরিবর্তন আনা উচিৎ।