instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে কিছু ছবি ব্যাপক প্রচার হয়েছে ফেসবুকে। যদিও অভিযোগ আছে যে অনেকে সেটি ব্যবহার করেছেন সংশ্লিষ্ট আলোকচিত্রীর অনুমতি ছাড়াই অর্থাৎ যার ছবি তার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার ঠেকানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। আর এতে করে সবচেয়ে হুমকির মুখে রয়েছেন আলোকচিত্রীরা । ছাপা হওয়া অথবা ফেইসবুকে তাদের শেয়ার করা, ছবি অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করছেন এমন প্রচুর নজির রয়েছে। অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার হয়েছে এমন এক ঘটনার শিকার বাংলাদেশের আলোকচিত্রী সাহাদাত পারভেজ। তিনি বলছেন তার তোলা বাংলাদেশী বাউলের একটি ছবি ছাপা হয়েছিলো একটি আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে এবং এরপর এটি ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। "পরে একটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যাংকের বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করে। যা দেখে সেই বাউল সন্দেহ প্রকাশ করে যে তার ছবি তার অনুমতি ছাড়া আমিই দিয়েছি বিজ্ঞাপনের জন্য। পরে সেই প্রতিষ্ঠান জানায় যে বিজ্ঞাপনটি তাদের বানিয়ে দিয়েছে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। আর সেই সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন তারা ছবিটি ব্যবহারের লোভ সামলাতে পারেনি"। এ ধরণের ঘটনায় শাস্তির ব্যবস্থা আছে? শাহাদত পারভেজ বলছেন এসব ঘটনা অহরহ ঘটছে। বিশেষ করে ফেসবুক বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় কিন্তু বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করলে ধরা পড়ে যায়। "ছবি চুরি হয় , নানা রকম ভাবে নিয়ে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহার করলে সেটি ধরাও যায়না"। কিন্তু অনুমতি ছাড়া কেউ ছবির বাণিজ্যিক ব্যবহার করলে ছবির যা মূল্য তার তিনগুণ অর্থ দিতে হবে। "ধরুন আপনার একটি ছবির মূল্য দশ হাজার টাকা আর অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের জন্য জরিমানা এবং ক্রেডিট লাইন না দেয়ার আরেকটি জরিমানা- এ তিনগুণ অর্থ দিতে হবে"। তিনি জানান কিছু ফটো এজেন্সি নানা সময় এমন জরিমানা আদায় করেছে কিন্তু সাধারণের মধ্যে কপিরাইট নিয়ে ধারণা একদমই নেই বলে মনে করেন ঢাকার এই আলোকচিত্রি। "কপিরাইট নিয়ে ধারণা থাকলে ছবি তোলাই কঠিন হয়ে যেতো। যেমন কারও ছবি তুললে তার অনুমতি নিতে হবে আবার কোন জায়গায় গিয়ে ছবি তুললে তার জন্য অনুমতি নিতে হবে"। বাংলাদেশে আসলে ছবি তোলা হয় পারস্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিশ্বের সেরা কিছু আলোকচিত্র ঢাকা থেকে আজ বাস যাচ্ছে নেপালে রানা প্লাজা ট্রাজেডি: বিচার এখনো কত দূরে? আইসল্যান্ডে কেন খৎনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ছবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন | সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে ছবির কপিরাইট নিয়ে মুশকিলে পড়ছেন অনেক পেশার মানুষজন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | টিপু সালতানের পাগড়ী মাথায় বিজেপি নেতারা। মহীশুর এখন যে কর্ণাটক রাজ্যের ভেতর, সেখানে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস মহা ধূমধামে টিপু সুলতানের জন্মদিন উদযাপন করতে চলেছে আগামী মাসে - কিন্তু বিরোধী বিজেপি তার তুমুল বিরোধিতা করছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট টানতেই কংগ্রেস টিপু সুলতানের মতো একজন 'খলনায়কে'র জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। কর্ণাটকের বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে তো টিপু সুলতানকে একজন খুনি ও 'কুখ্যাত ধর্ষণকারী' বলতেও দ্বিধা করেননি। টিপু সুলতান গণহারে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন বলেও তিনি দাবি করেছেন। টিপু সুলতানের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে স্থানীয় এমপি হিসেবে তার নাম থাকলে তিনি গিয়ে অনুষ্ঠানে বিরাট গণ্ডগোল বাঁধাবেন বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হুমকি দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার ও দলের অন্য নেতাদের পাঁচ বছরের পুরনো একটি ছবি - যেখানে তাদের টিপু সুলতানের মতো পাগড়ি পরে ও হাতে অবিকল তার ভঙ্গিতে তলোয়ার ধরে মঞ্চে ছবি তোলাতে দেখা যাচ্ছে। মহীশুরপতি টিপু সুলতান। যে দল টিপু সুলতানকে একজন দেশবিরোধী অত্যাচারী শাসক হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, সেই বিজেপিকে এই ছবি বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। "তাহলে বিজেপি নেতারা কি পাঁচ বছর আগে জানতেন না টিপু সুলতান একজন নিষ্ঠুর অত্যাচারী?", তাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও। কিন্তু টিপু সুলতানের মতো একজন ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিয়ে কেন ভারতে নতুন করে এই বিতর্ক? তার পক্ষের ও বিপক্ষের শিবির টিপু-কে নিয়ে কী যুক্তি দিচ্ছেন? আসলে টিপু সুলতানের জন্মদিন পালন করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই বাকবিতণ্ডা চলছে কর্ণাটক ও তার পাশের রাজ্য তামিলনাড়ুতে। টিপুর পক্ষে কথা বলে এর আগে হুঁশিয়ারিও শুনতে হয়েছিল বিশিষ্ট কর্ণাটকি অভিনেতা ও নাট্যকার গিরিশ কারনাডকেও। কর্ণাটকের বর্তমান কংগ্রেস সরকার অবশ্য আগাগোড়াই বলে আসছে টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালনে অন্যায় কিছু নেই। কর্ণাটকের মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডুরাওয়ের কথায়, ''রাজ্যের মহান সন্তান টিপু সুলতানের জন্য আমরা সবাই গর্বিত।'' ''তিনি সুশাসক ছিলেন, সাম্প্রদায়িক ছিলেন না মোটেই - আর এই বীর যোদ্ধা ইংরেজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াইয়েও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কর্ণাটকে রেশমচাষ থেকে অনেক সংস্কার শুরু হয়েছিল তার হাতেই। আর যে সব হত্যাকাণ্ডের কথা বলছেন সেরকম বিতর্ক তো গুজরাটে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও আছে,'' বলছেন মি গুন্ডুরাও। টিপু সুলতান যে বিতর্কিত, ঐতিহাসিকরাও অবশ্য তা অস্বীকার করেন না। দাক্ষিণাত্যের ইতিহাসের বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক শৌভিক মুখোপাধ্যায় অবশ্য মনে করেন এই বিতর্কের বীজ নিহিত আছে টিপু-কে নিয়ে সে আমলের লেখালেখির ভেতরে। তিনি জানাচ্ছেন, ''টিপু-কে নিয়ে যাবতীয় গবেষণার মূল উৎস হল সে আমলে ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তাদের রিপোর্ট। এখন শত্রুর সম্বন্ধে তারা যে খুব একটা ভাল কথা বলবেন না তা তো বলাই বাহুল্য।'' অধ্যাপক মুখোপাধ্যায় আরও বলছেন, ''টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে যেমন হিন্দু-নিধন বা মন্দির ধ্বংস করার অভিযোগ আছে তেমনি মারাঠাদের হাতে প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া শঙ্করাচার্যর প্রতিষ্ঠিত শৃঙ্গেরী মঠকে তিনিই কিন্তু আবার পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন।'' কিন্তু বিজেপি মনে করছে টিপুর হাতে যত হিন্দু বা কুর্গ এলাকায় যত খ্রিষ্টান মারা গেছেন তারপর তাকে মহান শাসক হিসেবে তুলে ধরাটাই চরম অন্যায়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর তাই প্রশ্ন ''আজ মৃত্যুর ২০০ বছরেরও পর কেন আচমকা কংগ্রেসের টিপুকে মনে পড়ল?'' ''হিন্দুদের খতম করায় তিনি নিজের সেনাপতিকে প্রশংসা করে চিঠি লিখেছিলেন। আর ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াইতেও তিনি তো আর এক ঔপনিবেশিক শক্তি ফরাসিদের হয়ে দালালি করেছেন। আজ পাকিস্তান তাদের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের নাম রেখেছে টিপু-র নামে, সেই সুলতানকে কীভাবে আমরা সম্মান জানাতে পারি?", বলছেন মি. স্বামী। ১৭৯৯ সালে শ্রীরঙ্গপতনমের যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন টিপু সুলতান। তার মৃত্যুর ২১৮ বছর পর আজ তাকে দেশ কী চোখে দেখবে, তা নিয়ে পরিষ্কার দুরকম মত দেখা যাচ্ছে। | ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে মহীশুরে রাজত্ব করেছিলেন যে টিপু সুলতান - তিনি একজন নায়ক না কি খলনায়ক, তা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | জেকেজি'র চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ আজ সকালে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ চার দিনের রিমাণ্ড দেয়ার জন্য আবেদন করে। পরে আদালত সাবরিনা আরিফের তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে। রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করার তথ্য দিয়েছিলো পুলিশ। ওই দিনই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে তাকে বরখাস্ত করার অফিস আদেশ জারি করা হয়েছিল। রোববার তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তেজগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদ খান বিবিসি বাংলাকে সাবরিনা আরিফের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন। "জেকেজি'র প্রধান নির্বাহী ও তার (সাবরিনা আরিফের) স্বামীকে যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, ঐ একই মামলায় তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।" মাহমুদ খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ তলব করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার অনুমোদন থাকলেও পরীক্ষা না করে ভুয়া ফলাফল দেয়ার অভিযোগে ২৩শে জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ সম্পর্কে সাবরিনা চৌধুরীর কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জেকেজি'র জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগকে 'অপপ্রচার' বলে উল্লেখ করে কয়েকদিন আগে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞপ্তি দেন তিনি। ওদিকে, করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠার পর শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সংবাদি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে জেকেজি'র স্বত্বাধিকারী আরিফুল হক চৌধুরীর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় জেকেজি গ্রুপকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সম্পর্কিত খবর: করোনা পরীক্ষায় অনিয়ম: বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতার আশংকা বাংলাদেশের সামনে? 'সরকারি কার্যক্রমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অযোগ্যতা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চরমে' 'চোর ধরে চোর হয়ে যাচ্ছি আমরাই', সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফকে তিন দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | গাযায় বহু ফিলিস্তিনি পরিবারের বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার পর ফিলিস্তিনিরা এখনও রাস্তাঘাট থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর ইট-পাথর পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর সফরে যাবেন বলে জানা গেছে। গাযায় অবকাঠামো পুননির্মাণে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন । গাযায় ১১ দিন পর এই প্রথম শুক্রবার রাত ছিল শান্ত। বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবেই এই রাতটি পার করেছে, ইসরায়েলের দিক থেকে কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি। ইসরায়েলি শহরগুলো লক্ষ্য করে হামাসও কোনো রকেট নিক্ষেপ করেনি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন ইসরায়েল ও হামাসের 'বিজয়' দাবির মধ্যে আল-আকসায় আবার উত্তেজনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি গাযায় ঢুকছে আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণবাহী গাড়ি শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি বলবৎ হবার পর দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে সেই সমঝোতা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠেনি। গাযায় আজ ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়ির বাইরে বের হয়ে এসেছেন, দেখছেন কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকালও ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সংঘর্ষে ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি এবং ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।আহত লোকজনকে সরিয়ে আনার জন্য করিডোর তৈরি করার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘ বলছে, সর্বশেষ এই যুদ্ধে ৮০ হাজারের মতো মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ এখন নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তবে গাযায় ইতোমধ্যেই মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই কদিনের যুদ্ধে গাযায় পানির অনেক পাইপলাইন ধ্বংস হয়ে গেছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইসরায়েল সীমান্তের একটি জায়গা আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার পর ৫০টির মতো লরি জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাযায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলো অনুমান করছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরও অবকাঠামো পুনরায় নির্মাণ করতে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে এবং এই কাজটি করতে লেগে যাবে কয়েক বছর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জনস্বার্থে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ না থাকলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কতটা থাকবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় সরকারের অবস্থান কী | ইসরায়েলের সাথে ১১ দিনের সংঘর্ষের পর গাযায় মানবিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে - বলছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সোমবার ইভিএম মেলা উদ্বোধন করার সময় ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৯শে নভেম্বরের পরিবর্তে ২৮শে নভেম্বর করা হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নতুন এই তারিখ ঘোষণা করেন। এছাড়া তফসিল সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য পরে আলোচনা করে নির্ধারণ করে জানানো হবে বলে জানান তিনি। এর আগে নির্বাচন নিয়ে চলা মতপার্থক্য আর বিতর্কের মধ্যে ৮ই নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আরো পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল আসলে কী? আওয়ামী লীগ থেকে ড. কামাল যেভাবে বেরিয়ে আসেন 'সংবিধানসম্মত' সমঝোতাতেই রাজী হবে ঐক্যফ্রন্ট? নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক কেন? সিট ভাগাভাগি - কতটা ভোগাতে পারে বিএনপিকে? নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন পূর্ববর্তী তফসিল: যা জানা প্রয়োজন ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকেই বিএনপি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। তবে এবার তারা নতুন গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটের অংশ হিসেবে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছে। জোটের নেতা ড. কামাল হোসেন ৮ই নভেম্বর তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন, নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা দাবি রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট নির্বাচনের তারিখ না পেছানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবি না মেনে ৮ই নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা পুন:তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তটি জানান। পূর্ববর্তী তফসিলে কী ছিল? | বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৩শে ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০শে ডিসেম্বর করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ধর্ষকের প্রতীকী কুশপুত্তলিকা পোড়ায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা কর্মসূচীতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানব বন্ধন করে এবং কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ধর্ষণ বিরোধী আইনে মৃত্যুদণ্ডের সাজা অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদেরই একজন তাসনিম আফরোজ, বলেন, "আজকে আমাদের একটা মাত্র হ্যাশট্যাগ এবং একটা মাত্র দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আর তা হলো 'হ্যাং দ্য রেপিস্ট'। আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই।" বিক্ষোভকারীদের পাঁচ দফা দাবি দুপুর একটার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ র্যালী শেষ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানব বন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা পাঁচ দফা দাবী তুলে ধরেন। * ধর্ষককে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা * ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের স্টপেজ পুনর্বিনস্ত করা * দ্রুততম সময়ে মধ্যে দেশের ঝুলে থাকা ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা * ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করা * কোন ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিক্ষোভে ধর্ষণ বিরোধী আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার দাবি ওঠে ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজা মাহবুব। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। এ ঘটনায় একচুল ছাড় দিতে রাজি নন বলেও জানান মিস মাহবুব। তিনি বলেন, "আমিও একটা বাসে নিয়মিত যাতায়াত করি। একটা মেয়ে কেন ধর্ষণের শিকার হবে? ধর্ষণের বিষয়ে আমরা কাউকেই এক পার্সেন্ট ছাড় দেবো না"। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিবাদ সমাবেশ করে যাতে বামপন্থী শিক্ষকেরা যোগ দেন। আরো পড়ুন: নির্ভয়া ধর্ষণ: এমাসেই চারজনকে ফাঁসির নির্দেশ সোলেইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে ৩০ জন নিহত ঝুলে থাকা তার আর খুঁটিবিহীন শহর হচ্ছে সিলেট পরে বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানব বন্ধন করেন তারা। সেখান থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার ও বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মঙ্গলবার এইআল্টিমেটামের প্রথম দিন ছিল, বুধবার আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষককে সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানব বন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অন্য মামলাটি ৬ই জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহান হক জানান, মামলাটি এরইমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। মিস্টার হক বলেন, "ঘটনাস্থলের পেছনে এবং সামনে দুই জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। সেখান থেকে আমরা ফুটেজ পেয়েছি।" এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান মিস্টার হক। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন শুধু কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঠেকানো সম্ভব নয়। ঢাকার বাইরেও বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে টিএসসি থেকে কুর্মিটোলা পর্যন্ত গণপদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের একটি জোট। ১১ই জানুয়ারি বিকেলে পদযাত্রা শুরু করবে এই জোট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সাভার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ-সহ দেশের বড় বড় জেলা শহরগুলোতে এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। | রাজধানীর ঢাকার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকরা যে কোনো সময় চাকরি ছাড়তে ও দেশে ফিরতে পারবেন এসব চুক্তির বলে প্রায় এক কোটি বিদেশী শ্রমিকের জীবনের নানা সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণ ছিল নিয়োগদাতাদের হাতে। যেসব সংস্কার আনা হচ্ছে, তাতে করে বেসরকারীখাতে কর্মরত বিদেশী কর্মীরা তাদের চাকরি পরিবর্তন এবং নিয়োগদাতার অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরব ত্যাগ করার স্বাধীনতা পাবেন। সৌদি সরকার বলছে, এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে তারা কাজের পরিবেশের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বাড়াতে চায়। দেশটিতে বিদেশী কর্মীর সঙ্গে এই চুক্তি 'কাফালা' নামে পরিচিত। এটা সৌদি আরবের শ্রমবাজারে বহুল আলোচিত বিষয়। চলমান 'কাফালা' নিয়ে অভিযোগ আছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। তাদের মতে, বর্তমানে চালু কাফালা পদ্ধতি "শ্রমিকদের নির্যাতন ও শোষণের সুযোগ করে দেয়"। একজন মানবাধিকার কর্মী বলেন, যে সংস্কার আনা হচ্ছে তা তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে কাফালা পদ্ধতির কিছুটা রয়ে যাচ্ছে এবং এটি পুরোপুরি বিলুপ্ত করা উচিত। সৌদি আরবের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, শ্রম সংস্কারের এই উদ্যোগ বুধবারে ঘোষণা করা হয়েছে, যা বেসরকারীখাতের বিদেশী সব শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং এটি কার্যকর হবে আগামী মার্চ মাস থেকে। এর ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকরা চাকরি পরিবর্তন করতে বা সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারবেন। এছাড়া, এসব শ্রমিক নিয়োগকারীর অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিদেশী শ্রমিকরা সরকারী সেবার জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারবেন, আর তাদের চুক্তি ডিজিটাল পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ থাকবে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক নারী শ্রমিক যান সৌদি আরবে আরো পড়ুন: প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরি হারানোয় আর্থিক সংকটে দেশে থাকা পরিবার করোনাভাইরাস: 'দেশে হাত পাততে পারতেছি না, বলতেও পারতেছি না' শিবচরের এক প্রবাসী যেভাবে ছয়জনকে সংক্রমিত করেন সৌদি আরবে এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে সৌদি আরবের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের আবুথুনাইন রিয়াদে সাংবাদিকদের বলেন, "এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা একটি আকর্ষণীয় শ্রমবাজার গড়ে তুলতে চাই, আর চাই কাজের পরিবেশকে উন্নত করতে।" তেল-নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতি আরও বহুমুখীকরণ করতে যে ভিশন-২০৩০ নেয়া হয়েছে, তার লক্ষ্য অর্জনে এই সংস্কার কার্যক্রম সহায়তা করবে বলে তিনি মনে করেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ গবেষক রোথনা বেগম বিবিসিকে বলেন, এই ঘোষণা "তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটা প্রবাসী শ্রমিকদের পরিস্থিতি উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে"। "তবে এর মাধ্যমে কাফালা পদ্ধতির পুরো বিলুপ্তি ঘটেনি।" মিজ. বেগম বলেছেন যে সৌদি আরবে ঢুকতে একজন শ্রমিককে এখনও একজন নিয়োগকারীর প্রয়োজন হবে বলে মনে হচ্ছে, এবং নিয়োগকারীরা শ্রমিকদের আবাসন অনুমতি নবায়ন বা যে কোন সময় তা বাতিলের ক্ষমতা রাখবেন। তিনি বলেন, "এর মানে হচ্ছে শ্রমিকরা এখনও নির্যাতন ও শোষণের শিকার হতে পারেন, কারণ নিয়োগকর্তাদের এই ক্ষমতা থাকবে।" "এছাড়া, কাফালায় এই সংস্কার বাসাবাড়িতে কাজ করা বিদেশী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে মনে হচ্ছে - এরা হচ্ছে দেশটিতে যারা সবচেয়ে বেশি নিগ্রহের শিকার হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম।" হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে সৌদি আরবে বহু লোক তাদের গৃহকর্মীকে কোনো ছুটি না দিয়ে দিনের পর দিন কাজ করিয়েছে, বেতন দেয়নি, অথবা তাদের ঘরেই আটকে রাখে। তিনি বলেন, অনেক গৃহকর্মী আবার শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। "এছাড়া, সৌদি আরবে কয়েক লক্ষ কর্মী আছে যাদের কাগজপত্র নেই, এবং কর্তৃপক্ষ বলেনি যে তাদের ক্ষেত্রে ঠিক কী হবে। তাদেন নিয়মিত করা হবে কি-না, কিংবা তারা নতুন নিয়োগকর্তা খুঁজে পাবে কি-না।" | সৌদি আরব ঘোষণা করেছে যে প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তিতে যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলোর কিছু কিছু তারা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | মুম্বাইয়ের রাস্তায় হিন্দিতে গ্রাফিতি ১৯৪৯ সালে ভারতের কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বা সংবিধান সভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটি 'রাজভাষা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে - আর সেই রাজভাষাটি হবে হিন্দি। সেই ধারাবাহিকতায় সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দিনটিতে রাজভাষা দিবস বা হিন্দি দিবস উদযাপিত হচ্ছে ঠিকই - কিন্তু বিশেষ করে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনও অব্যাহত। ভারতে প্রায় সব কেন্দ্রীয় সরকারই আগাগোড়া যুক্তি দিয়ে এসেছে বহুভাষাভাষী ওই দেশে 'লিঙ্ক ল্যাঙ্গুয়েজ' হিসেবে হিন্দি অপরিহার্য। কিন্তু হিন্দি ভাষাভাষী নয় এমন বহু রাজ্যই পাল্টা দাবি করে থাকে হিন্দিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তাদের ভাষাগুলো বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। তিন বছর আগে দিল্লিতে হিন্দি দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ হিন্দি বা তার বিভিন্ন ডায়ালেক্ট বা উপভাষায় কথা বলেন, আর এই ভাষাটিকে সারা দেশের প্রধান সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তাগিদ চলছে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই। আর 'হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান' যে বিজেপির ঘোষিত রাজনৈতিক এজেন্ডা, তাদের আমলে সেই উদ্যোগ আরও গতি পেয়েছে সহজবোধ্য কারণেই। এবছরের হিন্দি দিবসের ভাষণেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "হিন্দিই হল সেই ভাষা যা সমগ্র ভারতকে একতার সূত্রে বেঁধে রেখেছে।" ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পেছনে হিন্দি ছাড়া আরও সব ভাষার ভূমিকাকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি, কিন্তু সারা দেশে সরকারি কাজকর্ম যে স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি হিন্দিতেই হওয়া বাঞ্ছনীয় - সরকারের সেই অভিপ্রায়ও গোপন করেননি। কিন্তু সব সরকারি দফতর, অফিস-আদালত কিংবা ব্যাঙ্কে হিন্দিকে সরকার মূল ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ভারতে। যেমন তামিলনাডুর রাজনীতির একটা প্রধান ভিত্তিই হল হিন্দি-বিরোধিতা। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতায় সরব ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি তামিল রাজনীতিবিদ ও এমপি কানিমোঝি মাসখানেক আগেই চেন্নাই এয়ারপোর্টে একজন নিরাপত্তাকর্মীর হিন্দি কথা বুঝতে না-পারায় তার অবাক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন, "ভারতীয় হয়েও কীভাবে আপনি হিন্দি বুঝতে পারেন না?" সেই অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে কানিমোঝি বলছিলেন, "একটা বিশেষ ভাষা না-জানলেই যে একজন কম ভারতীয় হয়ে যান না, সেই বোধটাই আসলে দেশের একটা বড় অংশে তৈরি হয়নি!" হিন্দি যে কেন্দ্রীয় সরকারের বেশি 'প্রশ্রয়' পাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ ক্ষোভ আছে পূর্ব ভারতেও। বাংলা ভাষার সুপরিচিত কবি ও ভাষাবিদ সুবোধ সরকার বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, এটাও আসলে এক ধরনের বঞ্চনা। সুবোধ সরকারের কথায়, "ভারতের অন্য সব ভাষার প্রতি আমার যতটা ভালবাসা, হিন্দির প্রতিও সেই সমান ভালবাসা আছে - এক চুলও কম নেই।" "তবে কথা হল, ভারতের চব্বিশটা প্রধান ভাষাকেই কিন্তু অষ্টম তফসিলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে - ফলে সংবিধানের চোখে, সাহিত্য অ্যাকাডেমির চোখে তাদের প্রতিটারই সমান মর্যাদা। তাহলে বাংলা ভাষা দিবস নয় কেন, তামিল ভাষা দিবস নয় কেন?" "আসলে হিন্দিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বা হিন্দিকে নানা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে বহু বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার যে বিপুল অর্থ খরচ করে আসছে, অন্য ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু তার ভগ্নাংশও করা হয়নি।" কবি সুবোধ সরকার "এ কারণেই আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে একটা ভাষা প্রবঞ্চনা তৈরি হচ্ছে", বিবিসিকে বলছিলেন সুবোধ সরকার। তবে হিন্দির সমর্থকরা অনেকেই যুক্তি দিয়ে থাকেন, এখানে প্রশ্নটা অবহেলা বা বঞ্চনার নয় - ভারতের মতো বহু ভাষার দেশে একটা অভিন্ন যোগসূত্র দরকার সেটা বাস্তবতা, আর তার প্রধান দাবিদার হিন্দিই। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ গীতা ভাট যেমন বলছিলেন, "ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা আমাদের মধ্যে এমনভাবে শিকড় গেড়েছে যে স্বাধীনতার পরও আমরা বিশ্বাস করে গেছি একমাত্র ইংরেজিই হতে পারে এদেশের অভিন্ন যোগসূত্র।" "প্রশ্ন হল, একটা স্বদেশি ভারতীয় ভাষা কেন সেই জায়গাটা নিতে পারবে না?" হিন্দিকে সেই জায়গাটা দেওয়ার জন্যই দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে গত সাত দশক ধরে, আর তামিলনাডু-পশ্চিমবঙ্গ-অন্ধ্র বা কর্নাটকের অনেকেই ভাবছেন তাহলে আমাদের তামিল-বাংলা-তেলুগু-কন্নড়ই বা কী দোষ করল? | ভারতে হিন্দি ভাষার প্রচার ও প্রসারের জন্য আজকের দিনটিকে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দি দিবস হিসেবে পালন করছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ইরানের রেড ক্রিসেন্টের একটি দল ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করছে। ইউক্রেনীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যায়, ওই ঘটনায় আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই। বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অধীনে, এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাধারণত এসব তদন্তে যুক্ত থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কয়েকটি দেশই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। সাধারণত মার্কিন সংস্থা বোয়িং সম্পর্কিত যে কোনও আন্তর্জাতিক তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ড ভূমিকা রাখে। তবে বোর্ডকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুসারে কাজ করতে হয়। ২০২০ সালের ৮ ই জানুয়ারী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৭৬জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনীয় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরে লোকজন ধ্বংসস্তূপের পাশে ভীড় করে। ইরানের রক্ষণশীল মেহের সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত বক্তব্যে ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএও) প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেছেন: "আমরা ব্ল্যাক বক্সটি বিমানটির প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেব না।" "এই দুর্ঘটনাটি ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে তবে ইউক্রেনীয়রাও উপস্থিত থাকতে পারে," তিনি যোগ করেন। মিঃ আবেদজাদেহ বলেছেন যে এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে কোন দেশ এই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করবে - যার মধ্যে রয়েছে একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। বোয়িং বলছে যে, "তারা যে কোনও প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত"। এদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে, তার দেশ তদন্তে ভূমিকা রাখতে চায় এবং এজন্য তিনি প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিমানের একটি ইঞ্জিনের অংশবিশেষ পাওয়া যায়। কি হয়েছিল? বুধবার কিয়েভে যাওয়ার পথে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের পিএস-৭৫২ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে ইরানে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক। ইউক্রেনের তেহরান দূতাবাস এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রথমে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বললেও পরে বিবৃতিটি সরিয়ে দিয়ে তারা জানায়, কমিশনের তদন্তের আগে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই আনুষ্ঠানিক নয়। উড়োজাহাজটি ইরানের রাজধানীর কাছাকাছি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরেডার-টোয়েন্টিফোর এভিয়েশন ওয়েবসাইট। এছাড়া বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তাও বলেছেন যে বিমানটির ক্রুরাও ছিলেন অভিজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত "এই বিপর্যয় সম্পর্কে কোন অনুমান বা মনগড়া তথ্য দেয়া যাবে না।" ইরানী গণমাধ্যম বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করছে এবং বিমানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তারা বলছে যে কোনও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি। মিঃ আবেদজাদেহ বলেছেন, এই দুর্ঘটনার সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন যোগসূত্র নেই, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মেহের। বিমান সংস্থাটি ২০১৬ সালে বোয়িং- এর "পরবর্তী প্রজন্মের" ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি কিনেছিল বিমানটিতে কারা ছিল? নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন ক্যানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ জনই ক্রু, ১০ জন সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন ব্রিটিশ এবং তিনজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। তবে পরে জার্মান সরকার বলেছে যে "ইরানের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে জার্মান নাগরিক আছে কি সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই "। ইরানের জরুরি অভিযানের প্রধান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪৭ জন ইরানী ছিলেন। ওই বিমানে ৬৫ জন আরোহীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। মিঃ ট্রুডো জানিয়েছেন, ফ্লাইটে ১৩৮ জন যাত্রী কিয়েভ হয়ে ক্যানাডা যাচ্ছিলেন। মিঃ ট্রুডো বলেন, "যে সমস্ত লোকেরা তাদের বাবা-মা, তাদের বন্ধুবান্ধব, তাদের সহকর্মী বা তাদের পরিবারের কাছে ফিরবে না, তাদের সবারই অনেক সম্ভাবনা ছিল, এই জীবন থেকে তাদের আরও অনেক কিছু পাওয়ার ছিল"। ইউক্রেনীয় এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর ফ্লাইটের ডেটা এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দেখা গিয়েছে যে, বিমানটি তেহরান থেকে ছাড়ার সময় স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানের ধ্বংসস্তূপ। প্রায় ৮,০০০ ফিট (২,৪০০ মিটার) উঁচুতে পৌঁছানোর পরে বিমানের ডেটা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি অস্বাভাবিক। তবে ঘটনাটির কারণ জানানোর ব্যাপারে আমাদের কাছে এই পর্যায়ে কোনও প্রমাণ নেই। পূর্বের কিছু বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারীর মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আগে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বলা ঠিক হবে না। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সম্ভাবনাটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না তবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর মতো বিমানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও যেন উড়তে পারে। এছাড়াও, যদি ইঞ্জিনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ফ্লাইটের ডেটায় দেখা যাবে যে বিমান আরোহণের গতি কমে গেছে। আরো পড়ুন: 'আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি': আয়াতোল্লাহ খামেনি ‘বাতাস দিয়ে খাদ্য’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? ১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া 'জীবনে প্রথম প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছি' | ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত ব্ল্যাক বক্স ফ্লাইট রেকর্ডারটি বিমানের প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে না ইরান। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ঢাকায় এখন বাস চলাচল বন্ধ আছে এমন পরিস্থিতিতে পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনগুলো দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে রবিবার। বাংলাদেশে গত ৫ই এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ আছে। এর আগে গত বছরেও কয়েক দফা গণপরিবহন বন্ধ করে পরে আবার সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। এবার গণপরিবহন বন্ধের পর সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার কথা বলা হলেও তা শ্রমিকদের কাছে খুব একটা পৌঁছায়নি। আবার মালিকরাও এ সময়টিতে তাদের তেমন কোন সহায়তা করেনি বলেই জানিয়েছেন চালক ও শ্রমিকদের অনেকে। ঢাকা থেকে শেরপুরের একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক মো.সাইফুল ইসলাম বলছেন, আগে তিনি দিন প্রতি ৬০০ টাকা বেতনে কাজ করতেন। কিন্তু গত প্রায় একমাস ধরে তার কাজ নেই। এর আগে গত বছর মার্চ মাসের পর থেকেই নানা সময়ে তাকে কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। "আমি দৈনিক ভিত্তিকে কাজ করি। কাজ করল বেতন পাই। আমাদের কোন নিয়োগ দেয়া হয়না। গত লকডাউনে ৭০/৮০ হাজার টাকা লোন করছি। এবার গত এক মাসের বাসা ভাড়া এখনো দিতে পারিনি"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: শ্রমিকরা গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বলছে, গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৫০ লক্ষ শ্রমিক। এই ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯টা শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। ফেডারেশনের নেতারা বলছেন লকডাউনের সব কিছু খুলে দিলেও শুধু মাত্র গনপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, তারা চাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য। অন্যথায় তারা রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করবেন। যদিও সরকারের দিক থেকে গণপরিবহন ঈদের আগে চালুর বিষয়েও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে তবে কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। "এখন সবই তো চলছে। যেহেতু সব চলছে সেজন্য পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ । সেজন্যই কর্মসূচি ঘোষণা করতে আমরা বাধ্য হয়েছি," বলছেন ওসমান আলী। এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতি নাম একটি নাগরিক সংগঠন বলছে, কয়েক লক্ষ গণপরিবহন শ্রমিকের কোন তথ্যভাণ্ডার নেই বাংলাদেশে। ফলে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে তাদের কাছে সাহায্য পৌছানো সম্ভব হয়নি এই করোনা মহামারির সময়। এই সংগঠনের মহাসচিব মোজ্জামেল হক চৌধুরি বলছেন, করোনা কারণে অনেক চালক পেশা বদল করেছেন। এখন অপেশাদার চালক বা সাহায্যকারী দিয়ে গণপরিবহন পরিচালনা করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরো বেড়ে যাবে। "এ খাতের শ্রমিকরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাদের বেতন, বোনাস, ওভারটাইম ও কর্মঘণ্টা নির্ধারিত না হলে কেউ তো আসবে না। এর মধ্যেই অনেকে পেশা ছেড়েছে। পেশাদার শ্রমিকরা চলে গেলে অরাজকতা বেড়ে যাবে"। এদিকে সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, লকডাউন শেষে এবং ঈদের আগে সড়ক পরিবহন চালু করা হতে পারে। | বাংলাদেশের পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন তারা কারণ একদিকে যেমন তাদের কোন আয় ছিলোনা তেমনি মালিক বা প্রশাসনও তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ঢাকার পথে বিমানের ভেতরেও মুখে মাস্ক পরে ছিলেন উহানফেরত বাংলাদেশিরা শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিমানটি ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, আগামী দু'সপ্তাহ বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে এই বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সেনাবাহিনী মূলত উহান থেকে ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের দিকটি দেখবে। উহান থেকে তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় একদল স্বাস্থ্যকর্মীসহ একটি বাস প্রস্তুত, বিমানবন্দর থেকে এই বাসে করে হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে উহান থেকে ফেরত আসাদের। সেনাবাহিনীর চিকিৎসকেরা নিয়মিত এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং কোয়ারেন্টাইন কর্মসূচী দেখভাল করবেন। এখানে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সমন্বিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি গতকালই উহানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং রাতে সেখান থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে ফিরতি পথ ধরে। গতকাল এই বিমানটি যাত্রা শুরুর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে মোট ৩৬১ জনকে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদের অধিকাংশই উহানে অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফেরত এসেছে ৩১২ জনের মতো। একটি বাসে করে উহানের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকায় ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের। উহানের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের প্রাক্কালে বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার তোলা কিছু ছবিতে উহানের বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার প্রাক্কালে কিছু বাংলাদেশিদের দেখা গেছে। এদের সবার মুখই ছিলো মাস্কে ঢাকা। হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে উহান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কাউকে আসতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কেউ এদের আশেপাশে ভিড়তে পারবে না। আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন কক্ষ প্রস্তুত করছে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গতকালই (শুক্রবার) একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "বিনীত অনুরোধ, এই সময়টায় স্বজনদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ব্যাকুলতা পরিহার করতে হবে। পর্যবেক্ষণে যাদের সুস্থ পাওয়া যাবে, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে"। বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি উহান রওয়ানা হবার আগে বিমানবন্দরের আন্তঃমন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে মি. রহমানও উপস্থিত ছিলেন। চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া এই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫৯ জন মারা গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে ১১ হাজার জন। চীনের বাইরে অন্তত ২২টি দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত কমপক্ষে ১০০ জন মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। | করোনাভাইরাস উপদ্রুত চীনের উহান শহর থেকে তিনশো'র বেশী বাংলাদেশিকে একটি বিশেষ বিমানে চড়িয়ে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হ য়েছে । |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এ ছবি নাড়া দিয়েছিলো সারা বিশ্বকে অথচ সেদিনের যে শান্তিপূর্ণ ক্ষোভ বিক্ষোভের জের ধরে এখন গৃহযুদ্ধের আগুনে পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গেছে সিরিয়া। সাত বছরের লড়াই আক্রমণ আর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত সাড়ে তিন লাখ মানুষ। কিভাবে যুদ্ধ শুরু হলো? তবে সিরিয়া সংকট শুরুর আগে থেকেই দেশটিতে উচ্চ বেকারত্ব, দুর্নীতি আর রাজনৈতিক অধিকার না থাকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট আসাদ তার বাবার কাছ থেকে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন ২০০০ সালে। আর ২০১১ সালে গণতন্ত্র পন্থীরা আরব বসন্তে উজ্জীবিত হয়ে প্রথম বিক্ষোভ করেন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দিরায়। তবে সরকার এ বিক্ষোভ দমনে রক্তক্ষয়ের পথ বেছে নেয় যাতে প্রতিবাদ আরও ছড়িয়ে পড়ে যা একপর্যায়ে দেশজুড়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়। ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিলো সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ফলে বিক্ষোভ যেমন বাড়ে তেমনি বাড়ে দমন পীড়ন। এক পর্যায়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেয় বিরোধীরা যা প্রথমে আত্মরক্ষায় আর পরে সরকারি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। মিস্টার আসাদ পুরো বিষয়টি 'বিদেশী সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ' আখ্যায়িত করে একে সমূলে উৎপাটনের ঘোষণা দেন। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে? যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা দি সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর হিসেব মতে চলতি মাস পর্যন্ত সিরিয়ায় মোট নিহত হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ মানুষ যার মধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার বেসামরিক নাগরিক। তবে এর মধ্যে নিখোঁজ ৫৬ হাজার ৯০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ধারণা করা হয় তারা আসলে মারাই গেছেন। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কী নিয়ে এই যুদ্ধ? এটা এখন আসলে আর প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষ বিপক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন গ্রুপ ও দেশ নিজেদের নানা স্বার্থে এতে জড়িত হয়ে পড়েছে, যা লড়াইকে করছে প্রলম্বিত। সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে শিয়া ধর্মাবলম্বী বাশার আল আসাদ- এর সুযোগ নিয়ে ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে ধর্ম ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও। এমনকি ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদাকে বিস্তৃত হবার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর সিরিয়ার কুর্দিরাও এ সংকটে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। কারা কারা জড়িত এ সংকটে ? সিরিয়া সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের রসদ যোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সৌদি আরব। রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে সিরিয়ায়। ২০১৫ সাল থেকে তারা সেখানে বিমান হামলাও শুরু করে। অন্যদিকে ইরান সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি আসাদ সরকারের জন্য ব্যয় করছে বিলিয়ন ডলার। শিয়া মুসলিমদের অর্থ অস্ত্র নিয়ে সহযোগিতা করছে ইরান। অন্যদিকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর মধ্যে থেকেই লড়াই করছে ইরাক আফগানিস্তান ও ইয়েমেন থেকে আসা যোদ্ধারা। আবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ বিভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন 'উদারপন্থী' বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে। বিদ্রোহীদের একটি অংশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে তুরস্কেরও। সৌদি আরব যারা ইরানের প্রভাব খর্ব করতে চায় তারাও বিদ্রোহীদের একটি অংশের প্রতি অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। আর ইসরায়েল। তারা হেযবুল্লাহকে ইরানিরা অস্ত্রশস্ত্র পাঠায় কি-না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এমনকি একবার তারা বিমান হামলাও করেছিলো এমন যুক্তিতে। কোথায় গেছে সিরিয়ার মানুষ গৃহযুদ্ধে কতটা ক্ষতি হলো দেশটির? লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ছাড়াও অন্তত পনের লাখ মানুষ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ছিয়াশি হাজার মানুষ হাত পা হারিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বাস্তু চ্যুত হয়েছে প্রায় ৬১ লাখ মানুষ। আর বিদেশে চলে গেছে ৫৬ লাখ সিরিয়ান। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী লেবানন, জর্ডান ও তুরস্কে। সেখানে অনেকেই মানবিক সহায়তা পর্যন্ত পাচ্ছেনা। সরকারি বাহিনী শহরগুলোতে নিয়ন্ত্রণ পেলেও দেশের অনেক এলাকাতেই বিদ্রোহীরা আছে দেশটি এখন কত ভাগে বিভক্ত? দেশের বড় শহরগুলোর ওপর সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ পুন:প্রতিষ্ঠা হয়েছে সত্যি কিন্তু দেশটির বড় অংশই এখনো বিদ্রোহী ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ জোটের নিয়ন্ত্রণেই আছে। ২৬ লাখ লোকের শহর ইদলিবে শক্ত অবস্থানে আছে বিরোধীরা। পূর্ব ঘৌতায় চলছে ব্যাপক লড়াই। আবার রাকাসহ ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব অঞ্চল জুড়ে নিয়ন্ত্রণ আছে এসডিএফের। রাকা ছিলো আইএস ঘোষিত খেলাফতের রাজধানী। আইএস অবশ্য এখন সিরিয়ার খুব অল্প জায়গাতেই টিকে আছে। ধ্বংসের একটি চিত্র এ যুদ্ধ কবে শেষ হবে? খুব শিগগিরই এ যুদ্ধ শেষ হবে তার কোন সম্ভাবনা এ মূহুর্তে দেখা যাচ্ছেনা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০১২ সালের জেনেভা ঘোষণা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নিং বডি কার্যকরের আহবান জানিয়েছে। যদিও ২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘ মধ্যস্থতায় নয় দফা শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের সাথে সমঝোতায় রাজী নন। আবার বিদ্রোহীরা চাইছে বাশার আল আসাদ পদত্যাগ করুক। আবার পশ্চিমা বিশ্ব শান্তি প্রক্রিয়াকে গুরুত্বহীন করার জন্য দোষারোপ করছে রাশিয়াকে। অন্যদিকে রাশিয়ার জাতীয় সংলাপের আয়োজন করলেও তাতে বেশির ভাগ বিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাই যোগ দেননি। সব মিলিয়ে কবে শেষ হবে এ যুদ্ধ তার আসলে কোন ইঙ্গিত নেই কোন দিক থেকেই। | সাত বছর আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল সেটি ছিলো শান্তিপূর্ণ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | এবার ছয় লাখ টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার চলতি বছরের আমন ধান সংগ্রহ অভিযান ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছ গত ২০শে নভেম্বর থেকে, যা শেষ হবে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি। এবারে ২৬ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে সরকার। এছাড়া মিল থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল কিনবে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা দরে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এ বছর কোন জেলা থেকে কত পরিমাণ ধান কেনা হবে তার একটি তালিকা করেছে কৃষি বিভাগ। যদিও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বিবিসিকে বলছেন, এখন মূলত কৃষকদের নাম নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদনের সুযোগ পাবেন কৃষকরা, বলছেন তিনি। ধান মাড়াই করছেন কৃষকরা - ফাইল ছবি অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন 'কৃষকের অ্যাপ' নামে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে কম্পিউটার কাউন্সিল। এখন অ্যাপে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন কৃষকরা। এরপর যাদের নাম অ্যাপে চলে আসবে তারা ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন আবেদনের। অর্থাৎ কৃষক তখন তার আবেদনে জানাবেন যে তিনি কোন জাতের ধান উৎপাদন করেছেন এবং কি পরিমাণ ধান তিনি বিক্রি করতে চান। এসব তথ্য বিশ্লেষণের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি করে চূড়ান্ত করা হবে যে কাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। একই সাথে ডিজিটালি জানিয়ে দেয়া হবে যে তিনি কোথায় ধান বিক্রি করবেন এবং সেখানেই তাকে মূল্য পরিশোধে একটি চেকের প্রিন্ট কপি দেয়া হবে যা তিনি ব্যাংকে দেখিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন, "ফলে ধান ক্রয়ের সময় মধ্যসত্ত্বভোগী দালাল কিংবা কর্মকর্তাদের মধ্যেও যদি কোনো অসাধু ব্যক্তি থাকে তারা আর অনিয়মের সুযোগ পাবেনা"। ধান সংগ্রহ অভিযানে প্রায়শই নানা অনিয়মের খবর পাওয়া যায় কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকলে অ্যাপ কৃষকেরা পাবেন কোথায়? খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলছেন, তারা যে ১৬জেলায় অ্যাপটি এবার ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা ও কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করতে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। খাদ্য বিভাগের জেলা ও থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রগুলো সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে অ্যাপটি ব্যবহার সম্পর্কে। মহাপরিচালক বলেন, "কারও কাছে ফোন না থাকলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে তারা নাম নিবন্ধন ও আবেদন করতে পারবেন। আর নিবন্ধন একজনের জন্য একবারই চূড়ান্ত। ওই নিবন্ধন নাম্বার দিয়েই তিনি প্রতিবছর ধান বিক্রয়সহ বেশ কিছু কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন"। অ্যাপের বৈশিষ্ট্য: ১.গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি যে কেউ ডাউনলোড করতে পারবেন। ২. এরপর এটি ব্যবহার করে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত ধান ও চাল সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। ৩. মিল মালিক ও কৃষক মোবাইলে ধান চালের চাহিদা, সরবরাহের তারিখ বার্তার মাধ্যমে জেনে যাবেন ৪. ধান বিক্রয়ের আবেদন ও আবেদনের অবস্থা দেখা যাবে ৫. কেউ হয়রানির শিকার হলে অভিযোগ করতে পারবেন আরো খবর: জঙ্গিবাদ দমনে বিনিয়োগ বেড়েছে, কিন্তু কৌশল সেই পুরনো আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে ট্রাম্পের আইন পাশ কলম্বিয়ায় আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ডিলান কে? | বাংলাদেশে ধান সংগ্রহ অভিযান নিয়ে অনিয়ম রোধে এবার বেশ কিছু জেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য বিভাগ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ডা: জুলেখা দাউদ, আমিরাতের প্রথম মহিলা ডাক্তার জুলেখা দাউদের বয়স এখন ৮০। ১৯৬৩ সালে প্রথম যেদিন তিনি দুবাইতে এসে নামলেন, সেই দিনটির কথা এখনো মনে করতে পারেন। "আমরা যখন নামলাম, তখন সেখানে কোন বিমানবন্দর পর্যন্ত নেই। কেবল একটা রানওয়ে। নামার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গায়ে এসে লাগলো গরম হলকা। সহ্য করা যায় না সেই গরম", বলছিলেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এখনকার স্বাস্থ্য সেবার মান দেখলে সেসময়ের অবস্থা কল্পনাও করা যাবে না। তখন সেখানে হাসপাতাল বলতে কিছু ছিল না। অন্যান্য দেশ থেকে ধার করে আনা ডাক্তার দিয়ে কোন রকমে স্বাস্থ্য সেবা চালাচ্ছিল তারা। ডা: দাউদ মনে করতে পারেন, কত রকম অসুখ-বিসুখে ভুগছিল তখন আমিরাতের মানুষ। যক্ষা থেকে শুরু করে ডায়ারিয়া। মেয়েদের সন্তান প্রসব করানোর মতো মহিলা ডাক্তার পর্যন্ত ছিল না। অপুষ্টিতে ভুগছিল শিশুরা। "আমি তো দুবাই আসার আগে এই জায়গার নাম পর্যন্ত শুনিনি। এখানে আসার পরই বুঝতে পেরেছিলাম এখানকার জীবন কত কষ্টের", বলছিলেন তিনি। তখন দুবাইতে এয়ারপোর্ট যেমন নেই, তেমনি নেই কোন সমূদ্র বন্দর। এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা তখনো স্বপ্ন। একটা শহরে যে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা তার কিছুই নেই। বিদ্যুৎ থাকে না সবসময়। ডা: দাউদের মতো সিরিয়া এবং লেবানন থেকে এসেছিলেন আরও অনেক ডাক্তার। তারা সেখানে কাজ করতে চাইছিলেন না। এরা ফিরেও গেছেন। কিন্তু ডা: দাউদ রয়ে গেলেন। তাঁর মনে হলো এখানে অনেক কাজ করার আছে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ড: জুলেখা দাউদ "আমার মনে হয়েছিল এই লোকগুলোর আমাকে দরকার"। ডা: জুলেখা দাউদ একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু দুবাই তখনকার অবস্থার কারণে তাঁকে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসেবেই কাজ শুরু করতে হলো। "পোড়া রুগী থেকে শুরু করে সাপে কামড়ানো মানুষ, চর্মরোগ থেকে যে কোন কিছুরই চিকিৎসা করতে হচ্ছিল আমাকে।" ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত তার এই দীর্ঘযাত্রা সহজ ছিল না। তিনি পাশ করেছিলেন নাগপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে। একটি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবার তাদের অবিবাহিতা মেয়েকে কিভাবে এত দূর দেশে যেতে দিয়েছিল? স্বীকার করলেন, এটি তখন অচিন্তনীয় ব্যাপার ছিল। কিন্তু তার বাবা-মা তাকে সোৎসাহে সমর্থন যুগিয়েছিলেন। দুবাইতে তার প্রথম কাজ পড়েছিল মরুভুমির মাঝে এক কোনরকমে দাঁড় করানো অস্থায়ী হাসপাতালে। সেখানে চারিদিকে উপজাতীয়রা থাকতো। কয়েক মাস পর তাকে বদলি করা হলো শারজায়। মরুভূমির মাঝখানে একটা হাসপাতালে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন দুবাই থেকে শারজাহ যাওয়ার কোন পাকা রাস্তা ছিল না। তাদের গাড়ি মরুভূমিতে বার বার আটকে যাচ্ছিল। দিনে দিনে ড: দাউদের সুখ্যাতি বাড়তে লাগলো। পেশায় উন্নতি হতে লাগলো। স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন তিনি। ১৯৭১ সালে যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত হলো, তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন। এরপর তিনি নিজেই স্বাস্থ্য খাতে উদ্যোক্তার ভূমিকায় নামলেন। এখন তিনি তিনটি বড় হাসপাতালের মালিক। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকরাই তাকে সেদেশে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ যোগান। ডা: দাউদ এখন তিনটি বড় হাসপাতালের মালিক দুবাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি একটা আলাদা স্থান রয়েছে তাঁর হৃদয়ে। এখন তিনি অনেকটা সেমি-রিটায়ার্ড জীবন যাপন করছেন। বেশিরভাগ সময় কাটে শারজায়। সেখানে প্রতিদিন দু ঘন্টা অন্তত নিজের হাসপাতালে গিয়ে কাজ করেন। তবে নিজের ভারতীয় পাসপোর্ট এখনো আছে তার। নিজের জন্মভূমির সঙ্গে সম্পর্কের কথা তাকে মনে করিয়ে দেয় এটি। কিন্তু তিনি কি ভারতে ফিরে যেতে চান? "এখন আমি এখানকারই মানুষ। ভারতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকবে। সেখানেই আমার সব মানুষ। কিন্তু এখন আমার জায়গা এটাই।" | ভারতীয় নাগরিক জুলেখা দাউদকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহিলা ডাক্তার বলে মনে করা হয়। এই দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পাল্টে দেয়ার ক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বিবিসি হিন্দির জুবায়ের আহমেদ কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে: |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | হারানো মোবাইলে বানরের সেলফি ও ভিডিও তার মোবাইল ফোনটি হারানোর একদিন পর সেটি বাসার পেছনের জ্ঙ্গল থেকে তিনি খুঁজে পান এবং তার ফোনে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখেন একটি বানর - দেখে মনে হচ্ছে -তার ফোনটি খাবার চেষ্টা করছে। ফোনের মালিক জাকরিজ রদজি এই ছবি টু্ইটারে পোস্ট করলে সামাজিক মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র মি. জাকরিজ ভেবেছিলেন তিনি যখন ঘুমিয়েছিলেন তখন তার ফোন কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। কিন্তু কীভাবে তার ফোন চুরি হয়েছিল তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না। তার ফোনে বানরের ছবি এবং ভিডিও ঠিক কীভাবে তোলা হয়েছিল তা যাচাই করে দেখাও সম্ভব হয়নি। বিশ বছর বয়সী মি. জাকরিজ বিবিসিকে বলেছেন শনিবার সকালে ১১টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন তার স্মার্টফোনটা নেই। মি. জাকরিজের ফোনের ভিডিও থেকে নেয়া স্ত্রিন শট "কোন চোর-ডাকাত ঢোকার কোন চিহ্ণ ছিল না। আমার খালি মনে হয়েছিল কেউ যাদুটাদু করল কিনা,'' মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জোহর রাজ্যের বাতু পাহাত-এ কম্প্যুটার সায়েন্সের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র মি. জাকরিজ জানান। এর কয়েক ঘন্টা পর, বিবিসির সাথে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ঐ একই দিনে স্থানীয় সময় দুপুর দুটো এক মিনিটে তোলা একটি বানরের ছবি। বানর ফোনটি খাবার চেষ্টা করছে। বানরটিকে দেখা যায় জঙ্গলে গাছপাতার মধ্যে থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। পেছনে শোনা যায় পাখির ডাক। তার ফোনে দেখা যায় বানরের আরও কিছু ছবি, সেইসাথে গাছপালা এবং পাতার ছবি। মি. জাকরিজ বলেন রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি তার ফোনের কোন হদিশ পাননি। রোববার দুপুরে তার বাবা তাদের বাসার বাইরে একটি বানর দেখতে পান। তিনি মাঝে মাঝেই তার ফোন বাজাচ্ছিলেন। এসময় তিনি আবার তার ফোনে রিং করলে সেটি পেছনের জঙ্গল এলাকায় বাজছে বলে মনে হয়। তাদের বাসার পেছনের বাগান থেকে কয়েক পা দূরেই জঙ্গল। তিনি বলেন একটা পাম গাছের নিচে পাতার ভেতর তার ফোন কাদামাখা অবস্থায় পড়ে আছে। তার চাচা নাকি তাকে মজা করে বলেছিলেন দেখো ফোনে চোরের কোন ছবিটবি আছে কিনা। ফোন থেকে কাদা পরিষ্কার করার পর তিনি কৌতূহলবশতই ছবির গ্যালারি খুলে দেখেন ''সেখানে ভর্তি বানরের ছবি''। বানরের যে সেলফি মি. জাকরিজ পান তার হারানো ফোনে মি. জাকরিজ বলেছেন ফোনে আরেকটি বানরের ছবিও তিনি দেখেছেন বিশ্বের কোথাও কোথাও শোনা যায় শহরে বা শহরের আশেপাশে যেসব বানর থাকে, তারা মানুষের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু মি. জাকরিজ বলেছেন তিনি যেখানে থাকেন সেখানে তাদের পাড়া থেকে কখনও বানরের কোন কিছু চুরির করার ইতিহাস নেই। তিনি সন্দেহ করছেন তার ভাইয়ের শোবার ঘরের খোলা জানালা দিয়ে বানরটা সম্ভবত তাদের বাসায় ঢুকে থাকতে পারে। ''শতাব্দীতে হয়ত এমন ঘটনা একবারই ঘটে,'' রোববার এক টুইট বার্তায় লেখেন মি. জাকরিজ। তার ওই টুইট ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে এবং তা কয়েক হাজার লাইক পেয়েছে। এই টুইট থেকে স্থানীয় গণমাধ্যম বানরের ছবি তোলার ভিডিও নিয়ে খবরও করেছে। বানরের সেলফি তোলার খবর যে এই প্রথম শিরোনাম হয়েছে তা নয়। ২০১৭ সালে একটি ম্যাকাও প্রজাতির বানরের একটি ছবি নিয়ে ব্রিটিশ একজন আলোকচিত্রী পশু অধিকার আন্দোলনকারীদের সাথে দুই বছরের আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন। ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নারুতু নামে ম্যাকাও প্রজাতির এক বানর ওই আলোকচিত্রী ডেভিড স্ল্যাটারের ব্যক্তিগত ক্যামেরা তুলে নিয়ে যায় এবং ওই ক্যামেরায় পরপর বেশ কয়েকটি ''সেলফি'' তোলে। মি. স্ল্যাটার যুক্তি দেন যে যেহেতু ক্যামেরা তার, তাই ওই ছবিগুলোর স্বত্বও তার। ওই ছবিগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। কিন্তু পশু অধিকার সংস্থা পেটা বলে যে, ক্যামেরায় ছবি তোলার কৃতিত্ব যেহেতু বানরটির, তাই ওই ছবিগুলো থেকে অর্জিত কপিরাইটের অর্থ পশুদের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। আমেরিকারএকটি আদালত রায় দেয় যে স্বত্বাধিকারের বিষয়টি একজন বানরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং পেটার করা মামলা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু মি. স্ল্যাটার ওই ছবিগুলো থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত অর্থের ২৫% তিনি ইন্দোনেশিয়ার ম্যাকাও এবং অন্যান্য প্রজাতির বানরের কল্যাণে দান করতে রাজি হয়েছিলেন। | মালয়েশিয়ান এক ব্যক্তি বলছেন তার হারানো ফোন জঙ্গল থেকে খুঁজে পাবার পর সেখানে তিনি এক বানরের সেলফি এবং বানরের ভিডিও ছবি দেখে রীতিমত বিস্মিত। এই ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে এখন ভাইরাল। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | প্রিয়াংকা চোপড়া লস এঞ্জেলেসে প্রিয়াংকা চোপড়া যখন সৌন্দর্য বিষয়ক এক সম্মেলনে হাজির হন, তখন সেখানে এক পাকিস্তানি-আমেরিকান নারী তাকে 'ভন্ড' বলে অভিহিত করেন। প্রিয়াংকা চোপড়া গত ফেব্রুয়ারী মাসে "জয়-হিন্দ#ইন্ডিয়ান-আর্মড-ফোর্সেস" লিখে টুইট করেছিলেন। সে সময় দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা চলছিল। লস এঞ্জেলেসে প্রিয়াংকা চোপড়া যে সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সেটির নাম 'বিউটিকন।' সেখানে আয়েশা মালিক নামে এক পাকিস্তানি-আমেরিকান নারীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। "আপনি যখন মানবতার কথা বলেন, তখন সেটা শুনতে বেশ খারাপ লাগে, কারণ আপনার প্রতিবেশি হিসেবে, একজন পাকিস্তানি হিসেবে আমি জানি, আপনি একজন ভন্ড।" আয়েশা মালিক তার সঙ্গে প্রিয়াংকা চোপড়ার এই কথাবার্তার ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রিয়াংকা চোপড়ার টুইটের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "আপনি ইউনিসেফের শান্তির দূত। আর আপনি কীনা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধে উৎসাহ দিচ্ছেন। এই যুদ্ধে তো কেউ জয়ী হবে না।" এ কথা বলার পর আয়েশা মালিকের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়। প্রিয়াংকা চোপড়া ২০১৬ সাল হতে ইউনিসেফের শান্তির দূত। প্রিয়াংকা চোপড়া বলিউডের দামি তারকাদের একজন আয়েশা মালিকের কথার জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তানে তার অনেক বন্ধু আছে এবং তিনি যুদ্ধের পক্ষে নন। কিন্তু তিনি একজন দেশপ্রেমিক। এক বছরের শুরুতে যখন এক হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়, তখন ভারত আর পাকিস্তানের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতে ভারত যখন পাকিস্তানের ভেতর হামলা চালায় তখন প্রিয়াংকা চোপড়া টুইট করে তার প্রশংসা করেছিলেন। আয়েশা মালিকের অভিযোগের উত্তরে প্রিয়াংকা চোপড়া বলেন, "পাকিস্তানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি ভারতের লোক। আমি যুদ্ধের ভক্ত নই, কিন্তু আমি দেশপ্রেমিক। কাজেই আমার কথা শুনে যদি আমাকে ভালোবাসে এমন কারও অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, আমি দু:খিত। আমি মনে করি আমাদের সবাইকে আসলে একধরণের মাঝামাঝি পথে হাঁটতে হবে।" তিনি আয়েশা মালিকের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, "এই মেয়ে, চিৎকার করো না। আমরা সবাই এখানে ভালোবাসার জন্য এসেছি। নিজেকে বিব্রত করো না।তোমার প্রশ্নের জন্য এবং তোমার উৎসাহের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।" আরও পড়ুন: প্রিয়াংকা চোপড়ার পোশাক নিয়ে কেন এত আলোচনা প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সাংবাদিক কাশ্মীর: কারফিউর মধ্যে ঈদ, বড় মসজিদ-ঈদগাহ বন্ধ | ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এক তীব্র উত্তেজনার সময় ভারতকে যুদ্ধে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়ার বিরুদ্ধে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এই সময়ে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে শিল্প-কারখানা। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা গ্রহণের প্রয়োজনে টিকার কার্ড দেখিয়ে বের হওয়া যাবে। এছাড়া ঔষধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার- ইত্যাদি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে। কয়েকদিন ধরেই সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল একটি 'সর্বাত্মক লকডাউনের' কথা। সেখানে বলা হচ্ছিল কোন শিল্প কারখানা খোলা রাখা হবে না এবার। কিন্তু রবিবার পোশাক শিল্পের মালিক সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখার কথা। সেই ধারাবাহিকতায় প্রজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, এবারও ছাড় দেয়া হলো শিল্প-কারখানাগুলোকে। তবে সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট-সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহন ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ রাখা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ এসব বিধিনিষেধ জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৪ই এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে বলে বলা হয়েছে। তবে এই প্রজ্ঞাপনেও লকডাউন বা সাধারণ ছুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। যদিও সরকারর বিভিন্ন পর্যায় থেকে লকডাউন শব্দ ব্যবহার করে সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। এর আগে গত ৫ই এপ্রিল থেকে দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আরও পড়ুন: যে পাঁচটি কারণে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের 'লকডাউন' লকডাউন অকার্যকর হলে সেনাবাহিনী ও কারফিউর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের এডিটার'স মেইলবক্স: মামুনুল হক, নারায়ণগঞ্জ রিসোর্ট কাণ্ড ও লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন পহেলা বৈশাখ থেকে সাত দিনের 'কঠোর' লকডাউন বাংলাদেশে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন যেসব ক্ষেত্রে ছাড়: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানা চালু রাখার কথা যেমন বলা হয়েছে। অন্যদিকে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর বারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এবং রাতে বারটা থেকে ভোর ছ'টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় এবং সরবরাহ করা যাবে। উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা বেচা করা যাবে সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। দেশের আদালত বা বিচার কার্যক্রম নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুম্মার নামাজ এবং তারাবীর নামাজ হবে। তবে এসব নামাজে জমায়েত কীভাবে করা যাবে- সে ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্দেশনা জারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বোরো ধান কাটার জন্য জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সমন্বয় করার জন্য। বিধি-নিষেধগুলো কার্যকর করতে সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নিয়মিত টহল জোরদার করবে। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ই মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন টানা দুইমাস পরিবহন, মার্কেট ও অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। এই বছরের মার্চ থেকে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার এপ্রিলের শুরুতে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই লকডাউনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে রান্নার সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বেঁধে দিল সরকার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে সাত দিন, উদ্বিগ্ন বিদেশগামীরা ইরানের পরমানু কেন্দ্রে 'নাশকতা'র অভিযোগ, ইসরায়েল জড়িত? শান্তিরক্ষীদের 'যৌনসঙ্গী' যোগানোর ব্যবসার খবর ফাঁস হয়েছিল যেভাবে | বাংলাদেশে ১৪ই এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য চলাচলে নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। সরকারি পর্যায়ে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশের সরকার পাঁচ ডলার বা চারশো টাকা কিছু বেশি দরে টিকাটি কিনবে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে এই টিকাটি কিনতে হবে আট ডলার বা প্রায় সাতশো টাকা করে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে। বাংলাদেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটির ভারতের উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস টিকাটি আমদানি করে সরবরাহ করবে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটির ভারতের উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট। ভারতে টিকা সরবরাহের জন্য প্রস্তুত সিরাম ইন্সটিটিউট সিরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদার সি পুনাওয়ালা সোমবার রাতে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো বলেছেন, তাদের উৎপাদিত কোভিশিল্ড নামের টিকাটির একটি সিঙ্গেল ডোজ খোলা বাজারে এক হাজার রুপিতে (প্রায় ১৪ ডলার) বিক্রি করা হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাদের মোট উৎপাদিত টিকার ৯০ শতাংশই ভারত সরকার কিনে নেবে। ভারত সরকারের কাছে তারা ২৫০ রুপি (চার ডলারের কিছু কম) করে টিকাটি সরবরাহ করবে। মোট দুইটি ইউনিট মিলে একেকটি সিঙ্গেল ডোজ হয়। জানুয়ারির মধ্যে তারা ১০ কোটি (১০০ মিলিয়ন) ডোজ তৈরি করতে পারবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। তবে সিরাম ইন্সটিটিউটের এই টিকাটির এখনো সরকারি অনুমোদন পাওয়ার বাকী রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প বিবিসি ১০০ নারী: এবার তালিকায় রয়েছেন যে দুইজন বাংলাদেশি বিদেশি তেলাপিয়া কবে, কী করে বাংলাদেশে এসে জনপ্রিয় হয়ে গেলো মন্দিরের ভেতরে কেন চুম্বনের দৃশ্য- নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে তোপ বিজেপির টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসবে ২০২১ এরা গোড়ায় বাংলাদেশের বেক্সিমকোর কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের এই টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, সিরাম ইন্সটিটিউটের টিকাটির কার্যক্রম এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাদের টিকাটি ভারতের কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেতে হবে। তবে সেটা হলেই আমাদের চলবে না, আমাদের এখানে আনতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা এফডিএ-র মতো সংস্থার অনুমোদন পেতে হবে। সব মিলিয়ে সেটা পেতে হয়তো জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে ধারণা করছি। ''সেই হিসাবে আমরা জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে টিকাটি পাবো বলে আশা করছি।'' তিনি জানান, সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের জন্য আপাতত ৩ কোটি টিকা কেনা হবে। তবে বেসরকারি খাতের জন্য তারা এক মিলিয়ন বা দশ লক্ষ টিকার চাহিদা জানিয়েছেন। সব টিকাই আনা হবে বেক্সিমোর মাধ্যমেই। তবে সরকারি টিকা সব একবারে আনবে না। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা বাংলাদেশে আসবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আরো টিকা আনার চেষ্টা করবে বলে তিনি জানান। ভবিষ্যতে বাংলাদেশও টিকাটি তৈরির চেষ্টা করবে বলে তিনি জানান। বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে, একইসাথে চলছে এই রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা। বেসরকারি টিকার দাম বেশি হবে রাব্বুর রেজা বলছেন, সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য আমদানি করা টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে পাঁচ ডলার বা ৪২৫ টাকার মতো। সেটা সরকারিভাবে বিতরণ করা হবে। ''তবে তারা যদি ভারতীয় সরকারকে কম দামে দেয়, তাহলে আমাদেরও সেই দামেই দেবে। সেইরকম একটা প্রটেকশন রয়েছে। সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমতেও পারে।'' তিনি বলছেন। সরকার এক্ষেত্রে বাড়তি কোন দাম নির্ধারণ করবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বেসরকারি খাতের জন্য যে ১০ লক্ষ টিকা আনা হবে, সেটার দাম পড়বে আট ডলার করে। কিন্তু সেখানে পরিবহন খরচ, সরকারি নীতি অনুযায়ী অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দাম নির্ধারিত করা হবে। ফলে ক্রেতাদের কাছে কিছুটা বেশি পড়তে পারে। বাংলাদেশে ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বা টিকা কেনার জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থের যোগান এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছে বাংলাদেশ অর্থ সহায়তা চেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিজস্ব অর্থে দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন কেনার দৌড়ে থাকার কথা বলা হচ্ছে। অনেক দেশ বা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে ভ্যাকসিন কারা পাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তিরা আগে টিকা পাবেন। পর্যায়ক্রমে অন্য সবাইকে এই টিকা দেয়া হবে। তবে কীভাবে সরকারি টিকার বিতরণ হবে, তার কোন গাইডলাইন এখনো তৈরি করা হয়নি। তবে বেসরকারি খাতের টিকার বিতরণের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাব্বুর রেজা বলছেন, ''বেসরকারি খাতেও যাদের সামনের সাড়িতে কাজ করতে হয়, এই টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের আমরা অগ্রাধিকার দেব। কারণ দেশের অর্থনীতি চালু রাখতে হলে আরো অনেক খাতের কর্মীদেরও টিকাটি পাওয়া দরকার। তাই আমরা বেসরকারি খাতে এরকম সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের জন্য টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বেসরকারিভাবে কিছু টিকা আনছি। '' সেটা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে পারে, যেখানে কোভিড-১৯ টেস্টের মতো আগে তালিকাভুক্ত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা আভাস দিচ্ছেন। তবে আপাতত এই টিকা খোলা বাজারে বা ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে না বলেই তারা নিশ্চিত করছেন। | জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকাটি বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি [ফাইল ফটো] এমন পরিস্থিতিকে দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতারা তাদের দলের জন্য চরম প্রতিকূল অবস্থা বলে মনে করছেন। জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলনে জামায়াতকে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন দল গোছানোর বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চান। অন্যদিকে, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে তা হয়নি। দলটির নেতাকর্মীরা মাঠেই নামেনি। জামায়াতের নেতারা অভিযোগ করেছেন পুলিশী তৎপরতায় তারা কোথাও জড়ো হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশী তৎপরতা বেড়েছে বলেই তারা উল্লেখ করছেন। তবে নির্বাচনের আগে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বিরোধী জোটের হরতাল অবরোধ কর্মসূচির সময় দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। সেগুলোর অনেক এলাকাতেই জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। ফলে ওইসব এলাকায় সহিংসতার দায় অনেক ক্ষেত্রে জামায়াতের ওপরে পড়েছে। সেখানে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা জেলাকে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ করে রেখে সহিংস ঘটনার অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের একজন নেতা আজিজুর রহমান মনে করেন, নির্বাচনের পর তারা আরও বেশি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। মিঃ রহমান বলছেন, “যেহেতু স্বাভাবিক কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করতে পারছিনা। আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকের আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হলো তার প্রভাবতো পড়েছেই। আমাদের কাজতো ব্যাহত হয়েছেই। আমরা মনে করি আমাদের দলের দাওয়াতি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম এখন পরিচালনা করা দরকার”। পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার জামায়াতের কয়জন নেতার সাথেও কথা বলে মনে হয়েছে তাঁরাও এখন দলকে গোছানোর বিষয়ে নজর দিতে চান। আসলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম ফাঁসির রায় হয় তখন থেকেই জামায়াত এবং ছাত্র শিবির রাজপথে শক্ত অবস্থান নিয়ে নেমেছিল দলীয় নেতাদের রক্ষায়। আন্দোলনেও সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছিল। এর পাশাপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকেও জামায়াত নির্দলীয় সরকারের দাবীতে যে আন্দোলন করেছে সেই আন্দোলনেও অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতা হয়েছে। সেই পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টও সেই বক্তব্য তুলেছে। এতে জামায়াত অনেকটা একঘরে হয়ে পড়ছে বলে দলটির মাঠপর্যায়ের অনেকে মনে করছেন। উত্তরের একটি বিভাগীয় শহর জামায়াতের একজন নেতা আবু মোহাম্মদ সেলিম বলছিলেন তারা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করারও সুযোগ পাচ্ছেন না। “যেটা ইসলামী আদর্শের সাথে কোন মিল খায়না। এ ঘটনাগুলো কিভাবে ঘটছে কারা ঘটাচ্ছে এটা সুস্পষ্টভাবে বলা যেত যদি আমরা একত্রে বসতে পারতাম। আমরাতো বসতে পারছিনা। আমরা অফিসে যেতে পারছিনা কারণ তালাবন্ধ। আমরাতো মূল্যায়নের সুযোগ পাচ্ছিনা”। সারাদেশে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশকে নির্বাচনের পরে নতুন করে গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে যেতে হয়েছে। বেশ কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগে থেকেও আটক রয়েছে। জামায়াত এখন এমন পরিস্থিতিতে কী কৌশল নিতে পারে তা নিয়ে দলটিতে নানান মত আসছে। বাংলা দৈনিক নয়াদিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর বলছিলেন, “চতুর্দিকের সমালোচনার তীরটা তাদের দিকেই এখন। জামায়াত এখন ভাবছে যে তারা কিভাবে অতীতের বিতর্কের বিষয় থেকে বের হয়ে আসতে পারে। নতুন যেসব ছেলেরা জামাতে এসেছে তাদের এখন ধারণা তারা কেন অতীতের বিষয় বহন করবে, তারা নতুন কিছু করতে চায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জামায়াতের মধ্যে নানান চিন্তা কাজ করছে’। জামায়াতের মিত্র বিএনপির সাথেও সম্পর্কের মূল্যায়ন করার একটা সময় এসেছে বলে মনে করেন মিঃ বাবর। যদিও ঢাকায় সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশে জামায়াতকে না ডাকার বিষয়ে দলটিতে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ ছিল। কিন্তু জামায়াতের অনেক নেতা মনে করেন এই মুহুর্তে জামায়াতের বিএনপির সাথে থাকা প্রয়োজন এবং সেটিই তারা চান। | বাংলাদেশে ইসলামীপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক জেনি রেগান বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা মাছির ওপর গবেষণা করছেন এবং দেখেছেন মাছির কাছে হয়তো এর প্রশ্নের একটি জবাব পাওয়া যেতে পারে। “বার্ধক্য নিয়ে গবেষণা করতে গেলে, খুব গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আপনি খেয়াল করবেন যে, নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি বাঁচে। এরপর আমরা যখন আয়ু বাড়ানোর জন্য কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ শুরু করলা, তখনও দেখলাম যে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণের ফলে নারীদের আয়ু বাড়ছে ঠিক, কিন্তু পুরুষদের ওপর তার কোন প্রভাবই পড়ছে না।” ড. রেগান এবং তার দল এই গবেষণার জন্য বেঁছে নিয়েছেন মাছিকে। হ্যা, মাছি। এবং তারা এই গবেষণায় সাহায্য নিয়েছেন লিঙ্গ পরিবর্তনের। তবে পুরো মাছির লিঙ্গ পরিবর্তন নয়, কিছু কোষ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে। ড্রসোফিলা বা মাছিজাতীয় গোত্রের প্রাণীদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের শরীরের প্রতিটি কোষের নির্দিষ্ট লিঙ্গ আছে। এরই সুযোগ নিয়ে গবেষকরা পুরুষ মাছির শরীরে তৈরি করেছেন নারী মাছির কোষ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ এবং দেখার চেষ্টা করেছেন, এর মাধ্যমে পুরুষ মাছির আয়ুর ওপর কোন প্রভাব পড়ে কিনা। “আমরা লিভারের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি, রক্তের করেছি, মস্তিষ্ক করেছি এবং শেষপর্যন্ত আমরা পরিপাকতন্ত্র করেছি। যখনি আমরা পুরুষ পাকস্থলী পরিবর্তন করে সেটা স্ত্রী লিঙ্গ করলাম এবং তাকে নির্দিষ্ট ডায়েট বা খাদ্যপ্রণালী অনুযায়ী খাওয়ানো শুরু করলাম, আমরা দেখলাম যে ঐ পুরুষ মাছির আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে”। ড. রেগানের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, পরিপাকতন্ত্র নারীদের দীর্ঘায়ু পাবার পেছনে একটি বড় কারণ। কিন্তু তারা আরেকটি বিষয় এই গবেষণায় লক্ষ্য করেছেন যে বয়সের সাথে সাথে নারীদের তুলনায় পুরুষদের পাকস্থলী বরং ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। সেখানে নারীদের পাকস্থলীতে বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু ছোট ছোট ক্ষত তৈরি হয় এবং কখনো কখনো টিউমারও দেখা যায়। কিন্তু তারপরও নারীদের শরীরে এমন কি আছে যেকারণে তাদের পাকস্থলীর দীর্ঘায়ু লাভের জন্য সহায়তা করে? “নারীরা যেহেতু ডিম উৎপাদন করে, যেমন কোন কোন স্ত্রী প্রাণী জীবনের প্রথম অংশে দিনে কয়েক’শ ডিম পাগে। যেকারণে একই খাদ্য থেকে পুরুষের চেয়ে তাদের বেশি পুষ্টি গ্রহণ করতে হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারীরা ডিম উৎপাদনের প্রয়োজনে তাদের পাকস্থলী অনেক বড় করতে পারে। যেহেতু তাদের পাকস্থলী এসব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, তাই তাদের পাকস্থলীতে সক্রিয় স্টেম সেলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং তারা যেকোন ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু পুরুষরা সেটি পারে না”। অ্যাপলের বিস্মৃত সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোনাল্ড জি ওয়েইন অ্যাপলের বিস্মৃত সহ-প্রতিষ্ঠাতা কিছুদিন আগেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল চল্লিশে পা দিল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে দামী এবং সম্ভবত: সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকালীন একজন মালিক শুরুতেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের মরুভূমি ওপর দিয়ে এক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে আপনি এমন এক জায়গায় পৌছাবেন যা দেখে মনে হবে সভ্যতার শেষ প্রান্ত। ছোট এই শহরে থাকেন অ্যাপলের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। যিনি অ্যাপলের অন্য দুই সুপরিচিত প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওয়াজনিয়াকের মধ্যে মধ্যস্থতা করে প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি গড়েছিলেন। রোনাল্ড জি ওয়েইন, জন্ম ১৭ইমে ১৯৩৪ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার সময়ে। “জবস ছিল খুব মনোযোগী। তার মাথায় যখন কোন আইডিয়া আসতো, তখন সেটি বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাই সে সহ্য করতো না। আমাকে সে অনেকটা উপদেষ্টার মত দেখতো, কারণ আমি ছিলাম তার চেয়ে বেশি কূটনৈতিক। একদিন সে আমাকে বলল যে স্টিভ ওয়াজনিয়াকের সাথে তার কিছু সমস্যা হচ্ছে। আমি তাদের দুজনকেই বাসায় আসতে বললাম। ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমি তাদের মধ্যে বোঝাপড়া করিয়ে দিলাম। এরপরই স্টিভ জবস বললো, আমরা একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করব”। সেই কোম্পানিটিই ছিল অ্যাপল। সেখানে বসেই টাইপরাইটারে চুক্তিপত্র লিখলেন ওয়েইন। স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওয়াজনিয়াক দুজনের ৪৫ শতাংশ করে মালিকানা। আর রোনাল্ড জি ওয়েইনের ১০ শতাংশ মালিকানা। তিনজনই চুক্তিতে সই করেন। “১২ দিনের মাথায় আমি রেজিস্টার অফিসে গিয়ে চুক্তিপত্র থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিই।” ওয়েইনের মতে সরে দাড়ানোর কারণটি ছিল যুক্তিসঙ্গত। কারণ, স্টিভ জবস এর মধ্যে বাইট শপ একটি প্রতিষ্ঠানে ৫০ টি অ্যাপল কম্পিউটার বিক্রির চুক্তি করেছিলে, যার জন্য অ্যাপলের ১৫ হাজার ডলার কিন্তু ওয়েইনের ভয় ছিল যে বিক্রির পর বাইট শপ তাদেরকে টাকা না দিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে। তাই তিনি আর ঝুঁকি নিতে চাননি। “কোম্পানিটি যদি বন্ধ হয়, তাহলে আমাদের প্রত্যেকেরই অ্যাপলের ঋণের দায়িত্ব নিতে হতো। জবস এবং ওয়াজনিয়াকের কাছে তখন কানাকড়িও ছিল না। কিন্তু আমার একটা বাড়ি ছিল, গাড়ি ছিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল। ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব হয়তো আমাকেই নিতে হতো। কয়েক মাস পর আমার কাছে দেড় হাজার ডলারের চেকসহ একটি চিঠি আসল। সেখানে লেখা ছিল, চিঠিতে স্বাক্ষর করে অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি থেকে সকল স্বার্থ ত্যাগ করলে এই চেকটি তোমার। আমি জানতাম যে আগেই আমি কোম্পানি থেকে সরে এসেছি, সুতরাং ঐ টাকাটা ছিল বাড়তি প্রাপ্তি। আমিও দেরি না করে স্বাক্ষর করে দিলাম”। অ্যাপলের ১০ শতাংশ শেয়ারের দাম এখন ৬ হাজার কোটি ডলার। রোনাল্ড জি ওয়েইন অবশ্য বলছেন, সেদিনের সিদ্ধান্তের জন্য তার মনে কোন অনুশোচনা নেই। স্টিভ জবসের প্রতিও তার শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে অ্যাপলের প্রতি তার কোন আকর্ষণ নেই এবং কোন অ্যাপলের কোন পণ্যও তিনি ব্যবহার করেন না । দু’বছর আগে একজন তাকে একটি আইপ্যাড উপহার দিয়েছিল। জীবনের আরো অনেক কিছুর মত সেটাও তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞানের আসর পরিবেশন করেছেন মীর সাব্বির। | বিশ্বজুড়ে পুরুষদের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। এর পেছনে কারণ কি? বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পেয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সুইজারল্যান্ডে চিকিৎসা কাজে গাঁজা ব্যবহার বৈধ হলেও বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ নয় মার্কাস লুডিয়াসের এই খামার কিন্তু সাধারণ শস্য খামারের মত নয়। উঁচু পাচিল ঘেরা খামারে বিশেষ ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ খামার পরিচালনা করেন তিনি। আর এই খামারের শস্যও কিন্তু ভিন্ন। বিশাল খামারে ভিন্ন ধরণের মাটিতে ১৫টি প্রজাতির গাঁজা চাষ করেন তিনি। মি. লুডিয়াস বলেন, "আমি একজন রসায়নবিদ, এবং আমার এই খামারে ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন ধরণের গাঁজা চাষ করছি।" গাঁজা বৈধ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বিতর্ক চলছে সুইজারল্যান্ডে। পৃথিবীর অনেক দেশের মত সুইজারল্যন্ডেও চিকিৎসাকাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ, তবে গাঁজা চাষ এবং বিক্রি করা এখনও সেখানে আইনগত ভাবে অবৈধ। তাই বিশেষ অনুমতি বাদে খামারীরা এখানে গাঁজা চাষ করতে পারে না। মি. লুডিয়াস জানান তাঁর খামারের গাঁজা সরাসরি সেবনের জন্য বিক্রি করা হয় না। গাঁজা বৈধ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বিতর্ক চলছে সুইজারল্যান্ডে "সুইজারল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ একটি অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে গাঁজা চাষ করি। সরকারি অনুমোদন পাওয়া ফার্মাসিস্টরা গাঁজাকে তরল অবস্থায় নিয়ে আসেন। তারপর শুধুমাত্র ডাক্তার অনুমোদিত ব্যক্তিরা কিনতে পারেন তা।" সেরকম একজন সরকার অনুমোদিত ফার্মাসিস্ট ড্যানিয়েলা আইগামেন জানান ওষুধ হিসেবে গাঁজা ব্যবহারের শুরু হাজার বছর আগে থেকে। "ওষুধ হিসেবে গাঁজা ব্যবহার শুরুর প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খৃষ্টের জন্মের ২৭০০ বছর আগে চীনে। চীনের একজন সম্রাট চেন-নুং ম্যালেরিয়া ও বাত সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ে গাঁজা ব্যবহার করেছিলেন", বলেন মিজ. আইগামেন। মিজ. আইগামেনের কাছ থেকে ওষুধ হিসেবে গাঁজা কেনেন সুইজারল্যান্ডের কয়েকশ' মানুষ। তাদেরই একজন বার্নাডিক্ট নিকলাউস, যিনি গাঁজা ব্যবহার করেন শরীরের ব্যাথা উপশমের জন্য। মিজ. নিকলাউস বলেন, "স্কলিওসিস রোগের কারণে ছোটকাল থেকেই আমার পিঠে ও কোমড়ে তীব্র ব্যাথা হতো। ব্যাথা উপশমের জন্য সবধরণের ওষুধ আমাকে দিয়েছে ডাক্তাররা, এমনকি মরফিনও। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। একসময় মনে হতো এই ব্যাথা না কমলে জীবনই আর রাখবো না। মিজ. নিকলাউস বলেন গাঁজা ব্যবহার করার পর থেকে তার ব্যাথা অনেক সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। গাঁজা চাষীরা বলছেন বৈধতা পেলে অন্যান্য দেশে গাঁজা রপ্তানি করতে পারবেন তারা সুইজারল্যান্ডে তার মতো অনেকেই নানা ধরণের রোগের প্রতিকার পেয়েছেন গাঁজা ব্যবহার করে। এসব কারণে বিশ্বের অনেক দেশই চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে। সুইজারল্যান্ডে এরকম ব্যবহার বৈধ হলেও এবিষয়ে আরো গবেষণা চালানোর তাগিদ দিচ্ছে সরকার। সুইজারল্যান্ডে গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষের মানুষ বলছে গাঁজা বৈধ হলে চিকিৎসাকাজে ব্যবহারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হবে দেশ। আর বিপক্ষের লোকজনের বক্তব্য এটিকে এখনো বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মাদক হিসেবে মনে করা হয়। আর চিকিৎসক ও রসায়নবিদদের মতে, আর্তমানবতার খাতিরে অন্তত চিকিৎসাকাজে গাঁজাকে বৈধতা দেয়া উচিৎ। | সুইজারল্যান্ডের প্রত্যন্ত এক গ্রামে মার্কাস লুডিয়াস তাঁর খামারের শস্যের পরিচিতি তুলে ধরছিলেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | স্বেচ্ছামৃত্যুর হাজার হাজার আবেদন জমা করেছেন গুজরাতের এই কৃষকরা। রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা ওই কৃষকদের প্রায় ৪০০ বিঘা চাষের জমি দখল করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চাইছেন এঁরা। ঘোঘা এলাকার ১২টি গ্রামের ওই জমি প্রায় ২০ বছর আগে অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। কিন্তু কৃষকদের বক্তব্য সেই সময়ে যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছিল, তা বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম। অধিগ্রহণের এত বছর পরে জমির দখল নেওয়াটাও বেআইনি বলে কৃষকদের দাবী। বোডি গ্রামের বাসিন্দা, কৃষক নরেন্দ্র সিং গোহিল বিবিসিকে বলছিলেন, "১৯৯৭ সালে সরকার যখন জমি অধিগ্রহণ করেছিল, তখন মাত্র ৪০,০০০ টাকা করে দেয়া হয়েছিল। ওই সময় তারা জমির দখল নেয়নি। এত বছর পরে সেই জমি ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে।" মি. গোহিলের কথায় জমির দাম এখন বিঘা প্রতি প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। অথচ ৪০,০০০ টাকা দিয়ে সরকার জমি নিয়ে নেবে, এটা কোন যুক্তি! সরকার অবশ্য বলছে একবার যে জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়ে গেছে, অধিগ্রহণের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হয়েছে, তার জন্য নতুন করে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় না। ভাবনগরের ওই জমির দাম এখন বিঘাপ্রতি প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। আরও দেখুন: 'জিন্দা লাশ' সেজে ভারতে কৃষকদের অভিনব প্রতিবাদ উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল বিবিসিকে জানিয়েছেন, "কৃষকদের ১৯৯৭ সালে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই জমির জন্য তারা যদি নতুন দাম চায়, সেটা তো দেওয়া সম্ভব না।" তারপরেই কৃষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা বলছেন, জমি দিতে পারেন তারা, তবে নতুন করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। জামখারসিয়া গ্রামের কৃষক প্রভিন সিং গোহিল বলছিলেন, "জানি না কী করে আমাদের পূর্বপুরুষরা এই জমি অত সামান্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তো অন্য কোনও কাজ জানি না। এই জমি চলে গেলে আমরা খাব কি? আত্মহত্যা না করে উপায় কি?" প্রভিন সিং গোহিলের ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। তাতে গম, মটর, জোয়ার চাষ হয়। এছাড়াও পশুপালন করে তার পরিবার। বছরে লাখ তিনেক টাকা আয় তাদের। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। "তুলো, বাদাম, জোয়ার, বাজরা - ভুট্টা এসব চাষ করি আমরা। লাখ চারেক টাকা আয় হয়। এখন যদি সরকার জমিটা নিয়ে নেয়, তাহলে বাঁচবো কী করে?" প্রশ্ন করছিলেন মেলখার গ্রামের বাসিন্দা যোগরাজ সিং সর্বাইয়া। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবীতেই আন্দোলনে নেমেছেন ওই গ্রামগুলির কৃষকেরা। বারোটি গ্রামের ৫,২৫৯ জন কৃষক জেলা-শাসকের দপ্তরে জমা দিয়েছেন ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন। আর আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে পুলিশী ধরপাকড় - চলেছে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস। শ'পাঁচেক গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত জারি হয়েছে ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী সৌরভ প্যাটেল বলছেন, "গত পাঁচ বছর ধরেই ওই প্রকল্পটির জন্য কাজ হচ্ছে। সরকার প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার বেশী বিনিয়োগ করে ফেলেছে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য। এখন কৃষকদের নাম করে আন্দোলন শুরু করেছে কিছু রাজনৈতিক দল।" "তবে আমাদের জমির দখল নিতেই হবে, এটা কুড়ি বছর ধরেই সরকারি জমি" - বলছেন মন্ত্রী। পড়তে পারেন: 'আমৃত্যু ক্ষমতায় হাসিনা': হানিফের কথায় কিসের ইঙ্গিত? "সব পুলিশ এমন হলে বদলে যেত বাংলাদেশ" চাকরির দায়ে যাদের রোজ পর্নোগ্রাফি দেখতে হয় | গুজরাতের ভাবনগর জেলার প্রায় হাজার পাঁচেক কৃষক স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন এক নারী। এই জরিপটি পরিচালনা করেছেন ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান-উর রহমান। এতে অংশ নেয়া ১২০২ জন ব্যক্তির মধ্যে ৮৫ শতাংশই চিকিৎসক যারা কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা জানান, তাদের কাছে আসা রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি করোনা পরীক্ষা করাতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। এর কারণ হিসেবে উত্তরদাতাদের ৫৩ শতাংশের বেশি বলেছে যে, টেস্ট করানোর সুযোগের অভাব এই অনাগ্রহ তৈরি করেছে। এছাড়া পরীক্ষার ফল দেরী করে আসা ও ভুল রিপোর্ট আসার কারণে পরীক্ষা করার আগ্রহ হারিয়েছে ১৬ শতাংশ রোগী। তৃতীয় বড় কারণ হচ্ছে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়। এই হারটিও শতকরা ১৬ ভাগ। তবে এই জরিপটি যেহেতু পরিপূর্ণ পদ্ধতি মেনে করা হয়নি তাই একে অংশগ্রহণকারীদের অনুমান বলে বর্ণনা করেন মি. রহমান। তিনি বলেন, যারা এতে অংশ নিয়েছে তারা চিকিৎসক যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা, সমাজের একটি প্রতিনিধিত্বশীল অংশের সাথে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। "সোশ্যাল স্টিগমাটা অনাগ্রহ, যেটা আন-সেফ টেস্টিং সাইট সেটা অনাগ্রহ, টেস্ট পাওয়া যাচ্ছে না যেটা সেটা অনাগ্রহ, কস্ট যেটা সেটাও অনাগ্রহ, দেরী করে রিপোর্ট এটাও অনাগ্রহ। তাহলে মোটামুটি ৯০ ভাগের বেশি মানুষ অনাগ্রহের কারণে টেস্ট করতে চায় না।" বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে টেস্টের সংখ্যা বেশ কমেছে। রোববার এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কিছু বেশি। আর সোমবার এই সংখ্যা কিছুটা বেড়ে ১৩ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অনেকেই হাসপাতাল বা বুথে গিয়ে নমুনা দেয়াটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন। মি. রহমান মনে করেন শুধু মানুষের অনাগ্রহের কারণে টেস্টের সংখ্যা কমেনি। বরং এর পেছনে আসলে সরকারের দায় রয়েছে। কারণ সরকার কম পরীক্ষা করাতে চায় যাতে কোভিড সনাক্ত কম হয়। "সরকার প্রথম থেকেই চেয়েছে যে টেস্ট কম হোক, টেস্ট কম হলে রোগী কম হবে, এবং রোগী কম হলে আমরা জিতেছি এটার বিরুদ্ধে, করোনার বিরুদ্ধে," তিনি বলেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা পাভেল সিদ্দিকী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে কোভিডের নানা উপসর্গে ভোগেন। তার সাথে তার পরিবারের কয়েক জন সদস্যও জ্বর, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা, হালকা কাশির মতো উপসর্গে ভোগেন। আরো পড়ুন: বিদেশ যেতে যে ১৬টি কেন্দ্র থেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে নাক বা গলা থেকে নমুনা সংগ্রহ কি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে? করোনাভাইরাস ঠেকাতে নিউজিল্যান্ড কীভাবে এত সফল হলো? তবে কোভিডের এসব উপসর্গ থাকলেও কোন ধরণের পরীক্ষা করেননি তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তিনি জানান, পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় এবং সামাজিক অবমাননার ভয়ে টেস্ট করাতে যাননি। "টেস্ট করাতে হলে আমার বাসা থেকে যেখানে যেতে হবে সেখানে যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। তার মানে যেতে আসতে ছয় ঘণ্টা লাগবে। এই পুরোটা সময়ই সম্পূর্ণ 'এক্সপোজড' অবস্থায় থাকতে হবে যা রিস্কি।" এছাড়া সামাজিক অবমাননার কারণেও মি. সিদ্দিকী ও তার পরিবার পরীক্ষা করাননি বলে জানান। বেসরকারি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন গোলাম কিবরিয়া। বেশ কয়েকদিন ধরে কোভিডে ভুগে এখন সুস্থতার দিকে তিনি। মি. কিবরিয়া জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কোভিড টেস্টের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। বিভিন্ন অ্যাপস ও লিংকের মাধ্যমে টানা ৪৪ ঘণ্টা চেষ্টা করার পর রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন তিনি। তবে, আস্থার অভাবে বেসরকারিভাবে টেস্ট করানোর চেষ্টা করেননি মি. কিবরিয়া। "আসলে কারা আমার টেস্টটা প্রোপারলি করে রেজাল্ট দিবে সেটা কোন ধরণের কনফিডেন্স পাওয়ার মতো জায়গা তো নাই বাজারে, বাংলাদেশে। তাই দ্বিধায় ছিলাম যে কোথায় টেস্ট করাবো।" তিনি বলেন, "পারিবারিকভাবে যোগাযোগ করে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছি। জেনেছি যে তাকেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে।" মি. কিবরিয়ার এই অভিজ্ঞতার সাথে অনেকটাই মিলে যায় নমুনা সংগ্রহের কাজ করা মাসুদ রানার তথ্য। কোভিড টেস্টে আগ্রহ করার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরাও। মি. রানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করেন। তিনি জানান, এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করে শুধু তাদেরই নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এছাড়া নমুনা সংগ্রহের সংখ্যাও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে জানান মি. রানা। "আগে যে বাসায় ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতে হতো এখন সেখানে ২ জনের নমুনা নিতে হয়। তবে বাড়ির সংখ্যা বেড়েছে এখন।" এমন অবস্থার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরাও। এ বিষয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, নমুনা পরীক্ষা না করে সার্টিফিকেট দেয়া বা ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়া, ফি নির্ধারণের মতো পদক্ষেপের জন্য মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। যার দায় ভার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার। আর প্রভাব হিসেবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র সামনে আসবে না বলে মনে করেন মি ইসলাম। "এর দায়ভারটা আসলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার। মানুষকে আমরা তো উদ্বুদ্ধ করতে পারিই নাই, বরং মানুষ হতাশ হয়েছে। আস্থা হারিয়েছে।" মি. ইসলাম মনে করেন মানুষের মধ্যে এই আস্থাহীনতা কাটাতে হলে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে ঢেলে সাজাতে হবে। "যারা ভুয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছে তাদের সবাইকে ধরতে হবে। ভুয়া সার্টিফিকেট যাতে না দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে," তিনি বলেন। পরীক্ষার ফল দেরী করে আসা ও ভুল রিপোর্ট আসার কারণে পরীক্ষা করার আগ্রহ হারিয়েছে ১৬ শতাংশ রোগী। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ কিট মজুদ রয়েছে। দেশে করোনা পরীক্ষার কোন সংকট নেই। ভবিষ্যতে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে আরো উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে সরকার করোনা পরীক্ষার তুলনায় দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধের অভিযানের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, এখনো টেস্টের উপরই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। যার কারণে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সনাক্ত কম দেখানোর জন্য টেস্ট কম করার যে অভিযোগ সেটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। "এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কম সনাক্ত হওয়ার জন্য কম টেস্ট করাবো এরকম অবশ্যই না। আমরা ল্যাব বেশি বেশি স্থাপন করছি টেস্ট বেশি বেশি করানোর জন্য। আমাদের পর্যাপ্ত কিটও আছে।" তিনি বলেন, ফি নির্ধারিত হওয়ার কারণে অপ্রয়োজনীয় অনেক টেস্ট কমেছে। এছাড়া এখন আর দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার টেস্ট করানো হচ্ছে না। যার কারণে মনে হতে পারে যে কম টেস্ট করানো হচ্ছে। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাতে সনাক্ত হয়েছে প্রায় ৩০০০ জন। | বাংলাদেশে সম্প্রতি করা এক জরিপ বলছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি করোনা টেস্ট করাতে অনাগ্রহী। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর পূর্বের ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি দৈর্ঘ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার। ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যে বিজেপি সরকারের তিন বছর পূর্তির দিনে ৯ই মার্চ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে রেকর্ড করা এক ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতির সীমারেখা বাণিজ্যে বাধা হতে পারে না। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে সেতুটির এক প্রান্ত আর অন্য প্রান্ত ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম শহরে। আরও পড়ুন: সীমান্তে প্রথম যে নদীসেতু যুক্ত করবে বাংলাদেশ ও ভারতকে ফেনী নদী থেকে আরো পানি পাবে ভারত 'মানবিক কারণে' ভারতকে ফেনীর পানি দিল বাংলাদেশ দুই দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের ত্রিপুরাসহ দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর পণ্য আনা নেয়া সহজ হবে। কিন্তু বাংলাদেশের লাভ কতটা হবে- সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। এই প্রথম কোনও নদী সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে ফেনীর নদীর ওপর ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরকে যুক্ত করার এই সেতু লম্বায় দুই কিলোমিটার। এর নাম দেয়া হয়েছে মৈত্রী সেতু। ভারতের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সেতু নির্মাণ করার কথা দুই দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ফেনী নদীর ওপর এই সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এই সেতুর ফলে ভারতের জন্য সুবিধা বেশি হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর এবং রাস্তা ব্যবহারের জন্য শুল্ক আদায় করে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। "ভারতের দিক থেকে সুবিধার মাত্রাটি হয়তো শুরুর দিকে বেশি মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের জন্য সুবিধার বিষয়টি হতে পারে যেহেতু চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার হবে। ফলে বন্দরের বিভিন্ন সেবা নেয়ার জন্য যে সব মাশুল বা শুল্ক আছে, সেগুলো বাংলাদেশ এখান থেকে হয়তো পাবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শুল্ক নিতে পারবে," তিনি মন্তব্য করেন। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, "এই সেতু মূলত ভারতের উভয় পাশের রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকে সহজ করবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য এটি ইতিবাচক হতে পারে। ''এর মাধ্যমে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হলেও পাশাপাশি মেঘালয়-মণিপুরসহ যে রাজ্যগুলো রয়েছে, সেগুলোর যেহেতু মিয়ানমারের সাথেও সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে সড়কপথে বাংলাদেশেরও মিয়ানমারের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ রয়েছে," মনে করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি আরও বলেছেন, এই সেতু ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য পণ্য আনা নেয়া করতে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ বাড়তে পারে। সেদিকেও নজর দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর, যেখান থেকে সেতুটির দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি নিয়ে কাজ করেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও এই সেতু অনেক সুবিধা দেবে। "ভারতের সাথে কানেকটিভিটি আমাদের ভীষণভাবে দরকার। কারণ আমরা এখনও মিয়ানমারে কোন স্থিতিশীল অবস্থা দেখছি না। সেজন্য মিয়ানমারের সাথে অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েছে।" অধ্যাপক ইয়াসমিন বলেছেন, "বাংলাদেশের জন্য ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অ্যাক্সেস পাওয়া মানে হচ্ছে, আমরা একটা বার্গেনিং পাওয়ার তৈরি করতে পারি। ইতিমধ্যেই আমরা কিন্তু নেপালের সাথে একটা (করিডর) তৈরি করছি। এছাড়া ভারতে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের একটা বিশাল মার্কেট আছে। "যদিও অনেকে যুক্তি দেবেন যে, এই সেতুর মাধ্যমে ভারতের জন্য পণ্য আনা নেয়া সহজ হবে। কিন্তু এর সাথে আমার দেশের পণ্য যাওয়াটাও সহজ হবে। আমাদের দু'টি দিকই খেয়াল রাখতে হবে," বলেন অধ্যাপক ইয়াসমিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ২০১৫ সালের জুন মাসে। এখন এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সেতুটির উদ্বোধন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটিকে দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য করিডোর হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সেতু দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। "এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতু বন্ধনই রচনা করবে না-বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে," বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে, ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর এবং রাস্তা ব্যবহারে শুল্ক কতটা হবে- তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কর্মকর্তারা আরও বলেছেন এখন উদ্বোধন করা হলেও সেতুটি পুরোপুরি চালু করতে আরও কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। | বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর দুই দেশের মধ্যে সংযোগকারী সেতুর মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | গ্যাস সঙ্কটে রাজধানী সহ অনেক অঞ্চলেই বাসাবাড়িতে বিঘ্ন হয় নিত্যদিনের রান্না। প্রয়োজনের সময় চুলায় গ্যাস পাওয়া না যাওয়া বা গ্যাসের প্রয়োজনীয় চাপ না থাকায় রান্না করতে না পারার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। কিন্ত চুলায় গ্যাস না থাকলেও পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের যোগান নিশ্চিত করতে রান্না তো করতেই হবে। বিভিন্ন উপায়ে এই গ্যাস সঙ্কটের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে 'মি-টু' আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী? দাবি পূরণ না হলেও আলোচনা চালাতে চায় ঐক্যফ্রন্ট মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ডেমোক্র্যাটদের দখলে ১. কেরোসিনের চুলা গ্যাস সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে অনেকে কোরোসিন চালিত চুলা ব্যবহার করছেন। ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা সাদিয়া আরমান নিজের ব্যবহারের কেরোসিনের চুলার ছবি দিয়েছেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। কেরোসিনের চুলার একটি ছবি দিয়ে ফেসবুকে তিনি মন্তব্য করেন, "লালবাগে এখন সবাই কিনছে। রান্নার সময় দুদিন ধরে গ্যাস নেই।" গ্যাস না থাকায় কেরোসিনের চুলায় করা হচ্ছে রান্না। ২. গ্যাস সিলিন্ডার রাজধানী ঢাকাসহ অনেক জায়গাতেই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। রাজধানীর কিছু এলাকাতে গ্যাস সংযোগ না থাকায় বাসাবাড়িতে বহনযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না করতে হয় ঐসব এলাকার বাসিন্দাদের। তবে অনেক বাসাতে গ্যাস সংযোগ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে গ্যাস সিলিন্ডার রাখেন অনেকেই। ঢাকার গোরান এলাকার একজন গৃহিণী নুসরাত শিখা বলেন, "কখন গ্যাস থাকবে আর কখন থাকবে না, সেই অনিশ্চয়তায় যেন দৈনন্দিন রান্নাবান্নার কাজ ব্যহত না হয়, তাই একটি গ্যাস সিলিন্ডার সবসময় বাসায় রাখি।" বাংলাদেশে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বাসায় বাসায় ব্যবহার হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। ৩. বৈদ্যুতিক চুলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় একসময় রান্নার কাজে ব্যবহার করা হতো ইলেকট্রিক হিটার। বর্তমানে সেসব ইলেকট্রিক হিটার দেখা না গেলেও তার জায়গা নিয়েছে বিদ্যুত চালিত ইন্ডাকশন বা ইনফ্রারেড চুলা। গ্যাসের চুলার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক চুলাও ব্যবহার করেন অনেকে অবশ্য বিদ্যুতের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করায় বাসাবাড়িতে এই ধরণের চুলা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বিদ্যুত বিভাগ। তবে গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলা করতে বাধ্য হয়েই ঘরে বৈদ্যুতিক চুলা রাখেন অনেকেই। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন বাড্ডার বাসিন্দা প্রত্যয় সাহা। বাসায় অনেক সময়ই গ্যাস থাকে না বিধায় একটি বৈদ্যুতিক চুলা কিনে রেখেছেন। মি. সাহা জানান, "সাধারণত সকাল ৬টার মধ্যেই সব রান্না করে রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নানা কাজে থাকায় তা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই প্রয়োজনে ছোটোখাটো রান্নাগুলো বৈদ্যুতিক চুলায় করে থাকি।" ৪. নির্দিষ্ট সময়ে রান্না ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা আসমা উল হুসনা জানান, "সবসময় গ্যাস পাওয়া যায় না বলে নির্দিষ্ট সময়ে রান্নাবান্নার কাজ শেষ করে রাখার চেষ্টা করি আমরা।" একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিজ. হুসনা বলেন, তাদের এলাকায় আগে থেকে ঘোষণা করে দেয়া হয় কখন গ্যাস থাকবে না। সেই অনুযায়ী রান্নাবান্না শেষ করে রাখেন তারা। তবে কোন সময়ে গ্যাস পাওয়া যাবে তা আগে থেকে জানিয়ে রাখলেও অনেক পরিবারের পক্ষেই সেসময় রান্না করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেরকম বলছিলেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা লাইলি বেগম। "চাকরিজীবি গৃহিণী হওয়ায় গ্যাস পাওয়া যাওয়ার সময়ের সাথে মিলিয়ে রান্না করতে পারি না অনেকসময়ই। কখনো কখনো এমনও হয়েছে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে রান্না শেষ করে রাখতে হয়েছে।" গ্যাস নেই...তাই লাকড়ি দিয়ে চুলা বানিয়ে পরিবারের সবার খাবারের আয়োজন। ৫. আর কোন উপায় না থাকলে...সবাই মিলে পিকনিক! ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত জুনায়েদ পাইকার ঢাকার খিলক্ষেতে কনকর্ড লেক সিটি কমপ্লেক্সে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে বাসায় পৌঁছে তিনি আবিষ্কার করেন যে বাসায় রান্না করার মত পর্যাপ্ত গ্যাস নেই। মি. পাইকারের কয়েকজন আত্মীয় থাকেন ঐ কমপ্লেক্সেরই কয়েকটি বাসায়। কাজেই সবাইকে নিয়ে একসাথে ঘরোয়া পিকনিক আয়োজন করার পরিকল্পনা করেন তিনি। "কাজ থেকে বাসায় ফিরে যখন দেখি যে গ্যাস নেই, তখন সবার সাথে আলোচনা করে লাকড়ি যোগাড় করে বাসার সামনে নিজেরাই রান্নার ব্যবস্থা করে ফেলি; অনেকটা পিকনিকের মতো।" মি. পাইকার মনে করেন, তাদের এই আয়োজন প্রতিবেশীদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি করেছে। তাদের এই আয়োজনে উদ্বুদ্ধ হয়ে গ্যাস সঙ্কট চলাকালীন সময় এমন পিকনিক আয়োজন করতে পারেন আপনিও। | গ্যাস না থাকায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না - এমন সমস্যা বাংলাদেশে নতুন নয়। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সীমান্তে দুই বাহিনীর প্রধানের ( বিএসএফের কে কে শর্মা ও বিজিবির মো: সাফিনুল ইসলাম) করমর্দন। দু'দেশের এই দুটো বাহিনীর মধ্যে আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে উভয়পক্ষের তরফে ভিন্ন ভিন্ন কিছু কর্মসূচিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচদিনের এই বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে যেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনের জন্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যেমন বলা হয়েছে তেমনি রয়েছে ভারতে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা এবং তাদের স্ত্রীদের ভারত সফরের মতো বিষয়ও। দিল্লিতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব আলোচ্য বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই এজেন্ডায় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসেবে এবছর বিএসএফের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন, আর ন'জন অপহৃত হয়েছেন। অবশ্য বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তিন জন নয়, এ বছর বিএসএফের হাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিহত হয়েছেন একজন। অধিকার আরো বলছে, ২০০০ সালের পর থেকে গত ১৮ বছরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে ১,১৩৬ জন বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছেন। ভারত ও বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ। আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারে যে কারণে দুই সাংবাদিকের জেল হলো 'প্রধানমন্ত্রীর কথাই শেষ নয়, আলোচনা হতেই পারে' মাঝদরিয়ায় জেলেদের কী কাজে লাগে কনডম? বিএসএফের এজেন্ডায় সীমান্তের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত কিছু বিষয়ের উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবির এজেন্ডায় দেখা যাচ্ছে সেখানে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ, বন্ধুত্বপূর্ণ খেলাধুলা এবং নানা ধরনের বিনোদনধর্মী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাহিনীর মহাসচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্যে যেসব বিষয় প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে উভয়পক্ষের পছন্দের একটি জায়গায় যৌথভাবে 'মিলন মেলা' আয়োজন করা, বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাইক্লিং, হাইকিং, রোয়িং-রাফটিং বা নৌকা বাইচের আয়োজন, পর্বতারোহণ, দুই বাহিনীর যে বাজনার দল বা মিউজিক ব্যান্ড আছে সীমান্ত এলাকায় তাদের যৌথ অনুষ্ঠান, দুই বাহিনীর মধ্যে শুটিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। আলোচনার জন্যে বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের পরিবার পরিজনদের জন্যেও কিছু কর্মসূচির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন বিজিবি ও বিএসফ এই দুই বাহিনীর কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের ভারত ও বাংলাদেশ সফর। এবং ভারতে বিজিবির কর্মকর্তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা। বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতে বাংলাদেশী স্কুল-শিশু, ডাক্তার ও সাংবাদিকদের ভারত সফরেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসএফ ও বিজিবি-র সদস্যদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ভলিবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন বা হকি-র প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হচ্ছে - বিজিবির এজেন্ডাতেও এই সব 'বন্ধুত্বপূর্ণ খেলাধুলো'র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিজিবি'র বক্তব্য বিজিবির এসব এজেন্ডা নিয়ে জানতে এই বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটা সম্ভব হয়নি। তবে বিবিসি'র রিপোর্টটি প্রকাশের পর সোমবার রাতে বিজিবি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি, হত্যা বা আহতের ঘটনা, এবং আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক বা বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য চোরাচালানের মতো বিষয়গুলো। নয়াদিল্লি থেকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আলোচ্যসূচির মধ্যে আরো ছিল নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিকদের গ্রেফতার বা আটকের ঘটনা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি এর ভেন্যুসমূহে দর্শকদের জন্য সীমান্তের দু'পাশে একই ধরনের গ্যালারি নির্মাণ, সীমান্তে 'ক্রাইম ফ্রি জোন' এর আওতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ। এ ছাড়া ভারত সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালকের ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথাও উল্লেখ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ কর্মসূচি। এতে বলা হয়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হবে। বছরে দু'বার মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক বছরে দুবার এই মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবার হচ্ছে দিল্লিতে। শেষ বৈঠকটি হয়েছিল ঢাকায় গত এপ্রিল মাসে। এবারের এই ৪৭তম বৈঠকে বিএসএফের প্রধান কে কে শর্মা এবং বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এজেন্ডায় ভারতের পক্ষ থেকে যেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিএসফের সদস্যদের উপর বাংলাদেশী দুষ্কৃতিদের হামলা ঠেকানো, সীমান্ত এলাকায় অপরাধ বন্ধে যৌথ উদ্যোগ, ভারতীয় বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, সীমান্ত অবকাঠামো, যৌথ টহল, নাজুক এলাকা চিহ্নিত করা এবং তথ্য বিনিময়। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর মধ্যে আরো রয়েছে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমন, ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচার, বিএসফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকদের গ্রেফতার বা আটক হওয়া ইত্যাদি। দিল্লিতে মহাসচিব পর্যায়ের এই বৈঠক চলবে আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। | বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে আজ সোমবার থেকে শীর্ষ পর্যায়ের যে সম্মেলন শুরু হয়েছে তাতে উভয়পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার একটি জনসভাস্থলে বোমা পেতে রাখার ঘটনা ঘটে। রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে বা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনার অপর রায়েও আসামিদের ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় আমরা অভিযোগ প্রমাণিত করতে পেরেছি। তিনি জানান, আদালত বলেছেন, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার মাধ্যমেই এ ধরনের নৃশংস ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব। এর আগে গত ১১ই মার্চ রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৩শে মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে দুইটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়েছে। আজ অপর মামলার রায় ঘোষণা হলো। বোমা পুঁতে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৯৬ সালে। সেই সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে ২০০০ সালের ২০শে জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২৩শে জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের পাশে একটি চায়ের দোকানের পেছনে এই বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখা হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট তিনটি মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্ত শেষে ২০০১ সালে ১৫ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি। আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল গ্রেনেড হামলা পর সেনা মোতায়েনের চিন্তা ছিল বিএনপির গ্রেনেড হামলা: যেভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা ২১শে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা: শেখ হাসিনা যেভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন ২০০৪ সালের ২১শে নভেম্বর আদালতে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অপর মামলার রায় এর আগে বোমা পুঁতে হত্যা চেষ্টা মামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। রায়ে গুলি করে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। হত্যা চেষ্টা মামলায় আপিলের রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাত জন নিহত 'টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ' সাব্বির কেন 'পাড়ার ক্রিকেট' খেলছেন চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো কিছু পশ্চিমা দেশ পাকিস্তানে 'কিছু মহলের আপত্তিতে' ১৯৭১ নিয়ে সম্মেলন বাতিল | গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে বোমা পুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। জোটের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জোটের শীর্ষ নেতা ড: কামাল হোসেন। তবে এতে কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর। মিস্টার হোসেন তার লিখিত বক্তৃতায় বলেন, "সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্তও এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও বিটিভিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচার হচ্ছে যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।" আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিলেন মাশরাফি নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া বিএনপির কি কোন উপায় আছে? সংসদ নির্বাচন: সব টেনশন 'বিএনপির আসা-না আসা' নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে ড. কামাল যেভাবে বেরিয়ে আসেন শনিবার বিএনপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক। "সব দল ও জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি।" তিনি বলেন, "এমন পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। কিন্তু এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" মিস্টার হোসেন বলেন, তাদের সাত দফা দাবি থেকে তারা সরে যাচ্ছেননা এবং বর্তমান তফসিল বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণারও দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্ট কড়া নজর রাখবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণের প্রতি। "জনগণের দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনেই নিতে হবে।" ওদিকে প্রায় একই সময়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। জোটের পক্ষে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমদ জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন ঐক্যফ্রন্টের মতোই নির্বাচনী তফসিল পেছানোর দাবি করেন। তবে একই সাথে দায়িত্বে পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন। নির্বাচনী প্রতীক কী হবে ? জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ড: কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির দুজনই জানিয়েছেন এ বিষয়ে তারা পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আরো পড়ুন: সংসদ নির্বাচন: ২৩শে ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভোট মাশরাফির অবসর ভাবনা: ক্রিকেট নাকি রাজনীতি? যে বিচারকের অসুস্থতা ভাবিয়ে তুলছে মার্কিনীদের | বাংলাদেশের ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে সাথে নিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ভারতে বেশিরভাগ পরিবারই নিজেদের ধর্ম ও জাত বা বর্ণের মধ্যেই বিয়ে-শাদীর সম্পর্ক গড়তে পছন্দ করেন। নিজের ধর্ম, জাত বা বর্ণের বাইরে গিয়ে বিয়ে করার পরিণাম অনেক সময় ভয়ংকর বা সহিংস হয়ে ওঠারও উদাহরণ রয়েছে। এমনকি কথিত 'সম্মান রক্ষার্থে হত্যা বা অনার কিলিং'- এর শিকার হওয়ারও ঘটনা রয়েছে অনেক। কিন্তু এরপরেও কিছু তরুণ ভারতীয় সমাজ, পরিবার, ধর্ম বা বর্ণের বাধা ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। রাভীন্দ্র পারমার তাদেরই একজন। তিনি জানতেন, উচ্চ বর্ণের একটি মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসার ফল বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি দলিত সম্প্রদায়ের আর যাকে ভালোবাসেন সেই শিলপাবা উপেন্দ্রসিং ভালা রাজপুত পরিবারের মেয়ে। "আমরা এমনকি তাদের (রাজপুত) এলাকায় হাঁটার অনুমতিও পেতাম না, অথচ আমি তাদের পরিবারে বিয়ে করতে গিয়ে কোনো কিছুই মানিনি," বলছিলেন রাভীন্দ্র। রাভীন্দ্র ও শিলপাবার জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা গুজরাটের দুটি আলাদা গ্রামে যার একটি সাথে আরেকটির দূরত্ব প্রায় একশ কিলোমিটার। দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তি'তে ব্যবহার করছিলেন আসঞ্জ মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে অস্বীকৃতি প্রেম, বিয়ে - অতঃপর বন্দী আর শঙ্কার জীবন মুখে ধর্মনিরপেক্ষতা, কিন্তু কাজে সাম্প্রদায়িকতা পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ নিয়ে যা না জানলেই নয় রাভীন্দ্র পারমার ও শিলপাবা উপেন্দ্রসিং ভালা। ফেসবুকে তাদের পরিচয় এবং সেখান থেকেই প্রণয়। "আমি আসলে গ্রামের অন্য মেয়েদের মতো ঘর আর কলেজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। রাভীন্দ্রই আমাকে বুঝিয়েছে যে এর বাইরেও জীবন আছে," বলছিলেন শিলপাভা। কিন্তু ভারতের জাতপাত ভেদাভেদ সমাজের খুবই গভীরে প্রোথিত। উচ্চ গোত্রীয় মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে হত্যার ঘটনাও সেখানে ঘটে। তাই ভিন্ন জাতের মধ্যে বিয়ে খুব একটা দেখা যায়না। এক হিসেবে এটি দেশটিতে বিয়ের ৫ শতাংশেরও কম। শিলপাবাকে বাড়ী ছাড়তে হয়েছিলো রাভীন্দ্রকে বিয়ে করতে তাই শিলপাবাকেও বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিলো কিন্তু হুমকি লেগেই ছিলো। বাসা ও শহর বদলাতে হয়েছে বারবার। প্রকৌশলী রাভীন্দ্রকে চাকরি পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিলো। এখন তারা দুজনই আইন নিয়ে পড়ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর হিসেবে, ২০১৬ সালেই অন্তত ৭৭টি হত্যাকাণ্ড রিপোর্ট হয়েছে যেগুলোকে 'অনার কিলিং' বলা হচ্ছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অমিত থোরাট বলছিলেন, "শিক্ষার হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও কুসংস্কার এখন অবিশ্বাস্য দুঃখজনক পর্যায়ে আছে।" আদিত্য ও আয়েশা নিরাপত্তাহীনতা বোধ বিবি আয়েশা ও আদিত্য ভার্মা একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন ১৭ বছর বয়সে। পরিচয় হয়েছিলো ফেসবুকেই। একজন মুসলিম আরেকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের। এটা তাদের না ভাবালেও তাদের পরিবার তীব্র আপত্তি জানায় এ সম্পর্কে। দিল্লীতে বড় হওয়া আদিত্য স্কুল শেষ করে ব্যাঙ্গালুরুতে একটা কলেজে ভর্তি হয়েছেন কারণ সেখানে বাস করতেন আয়েশা। কিন্তু তাতে পরিবারের মন গলানো যায়নি। "পাঁচ মাস আমরা একসাথে ছিলাম। মনে হতো যে কোনো মুহূর্তে খুন হতে পারি। কারণ আমি মুসলিম আর সে হিন্দু," বলছিলেন আয়েশা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৩ বছর বয়সী অংকিত সাক্সেনা দিল্লীতে খুন হয়েছিলেন প্রকাশ্য দিবালোকে। তার অপরাধ ছিলো - তিনি একজন মুসলিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। আয়েশা বলছিলেন, এরপর তারা বাইরে যেতেন কমই। বাইরে বের হলেও চারদিকে তাকিয়ে সতর্ক থাকতেন। "মুখে দাঁড়ি আছে এমন কাউকে দেখলেই মনে হতো আমার পরিবারের কেউ আমাকে খুন করতে আসছে।" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্ক গড়ে দিচ্ছে ভিন্ন ধর্মের মধ্যেও। বাড়ছে সচেতনতাও আয়েশার বাবা-মা আদিত্যকে পছন্দ করেছে কিন্তু সে মুসলিম না হওয়া পর্যন্ত তাকে তাদের পরিবারে গ্রহণ করতে রাজী নয়। আবার আদিত্যর পরিবারও চাইছে আয়েশা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করুক। যদিও তারা দুজনই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে চায়। ভারতে ১৮৭২ সালের আইন অনুযায়ী ভিন্ন ধর্মের এমন বিয়ের আইনগত বৈধতা নেই। ২০০০ সালে আদিত্য জানতে পারে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট সম্পর্কে। তারা যখন বিয়ে করলো তারপর গুজরাটের ঘটনার পর তারা দেখলো কিভাবে তাদের টার্গেট করা হয়। পরে তারা ধানাক নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যারা মূলত সচেতনতা তৈরির কাজ করে, বিশেষত স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট নিয়ে। আস্থা ও ভালোবাসা ধানাক নেটওয়ার্ক আয়েশাকে নিরাপদ ভাবতে সহায়তা করেছে। তারা এখন তাদের মতো অনেক জুটি দেখছে। "নিজের সঙ্গীকে বিশ্বাস করলে ও ভালোবাসা থাকলে আর কিছুই বিষয় নয়," বলছিলেন আয়েশা। ওদিকে বিয়ের পর নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন রাভীন্দ্র ও শিলপাবা। তারা নিজেরাই তাদের ডাক নাম বদলে দিয়েছেন; কারণ সেগুলোকে বর্ণের একটি পরিচিতি পাওয়া যেতো। রাভীন্দ্র বাস্তববাদী। তার মতে, ভারতে সামনে অসংখ্য বিয়েই হবে আলাদা আলাদা ধর্ম, বর্ণ কিংবা জাতের মানুষের মধ্যে। | ভারতে বেশিরভাগ পরিবারই নিজেদের ধর্ম ও জাত বা বর্ণের মধ্যেই বিয়ে-শাদীর সম্পর্ক গড়তে পছন্দ করেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সামরিক আদালতে আহেদ তামিমি সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন তার চড় মারার সেই ফুটেজ ভাইরাল হয়ে ঘুরছে। ইসরায়েলের বাম-ঘেঁষা দৈনিক হারেতজ লিখেছে-ইসরায়েল যদি আহেদ তামিমির বিচার নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তাহলে এই কিশোরী হয়তো "ফিলিস্তিনি জোয়ান আর্ক হয়ে উঠবে।" অন্যদিকে দক্ষিণ-পন্থী ইসরায়েলিরা সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে লিখছে, কেন তারা ঐ ফিলিস্তিনি কিশোরীর মুখে পাল্টা চড় মারলো না। ঘটনাটি ঘটে দু সপ্তাহ আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবি সালেহ নামের একটি গ্রামে। বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামের লোকজন প্রতি সপ্তাহে একদিন ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঐ বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের সাথে আহেদ তামিমির ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। এক পর্যায়ে ঐ কিশোরী সপাটে চড় বসিয়ে দেয় এক সৈন্যের গালে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঐ চড়ে ঐ সেনা সদস্যের ভ্রু কেটে গেছে। আহেদ তামিমির বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচণায় সহিংসতা এবং দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সামরিক আদালতে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আহেদ তামিমি, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলেনের প্রতীক হয়ে উঠেছে ১৬ বছরের এই কিশোরী ইসরায়েলে এ ধরণের অপরাধে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের ১০ বছরের সাজা হতে পারে। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন, কম বয়সের কারণে হয়তো লঘু সাজা হতে পারেএই কিশোরীর। তার বিচার নিয়ে যখন টানাহেচড়া চলছে, একটি চড় মেরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের নতুন এক প্রতীক হয়ে উঠেছে ১৬ বছরের আহেদ তামিমি। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনা-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সে। এই ধরণের দুঃসাহসিক কাজ এই কিশোরী আগেও করেছে। দু বছর আগে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার সময় সে ইসরায়েলি সৈন্যের হাত কামড়ে দিয়েছিলো। তারও আগে ২০১২ সালে ইসরায়েলি সৈন্যদের সাহসের সাথে মোকাবেলার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইপ এরদোয়ান তাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। আহেদ তামিমির বয়স তখন ছিল মাত্র ১১ বছর। | ১৬ বছরের ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমি তার বাড়ির সামনে ইসরায়েলি এক সৈন্যের গালে সপাটে চড় বসিয়ে দেয়। গ্রেপ্তারের পর সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে সে এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সামিট: বিশ্বের এক নম্বর সুপার-কম্পিউটার মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাদের তৈরি সর্বশেষ সুপার-কম্পিউটারটি ক্ষমতায় এবং গতিতে এর আগের বিশ্বের এক নম্বর বলে বিবেচিত সুপার-কম্পিউটারের প্রায় দ্বিগুণ। এই নতুন সুপার কম্পিউটারের নাম দেয়া হয়েছে 'সামিট'। প্রতি সেকেন্ডে এটি দুই লক্ষ ট্রিলিয়ন হিসেব কষতে পারে। সুপার-কম্পিউটারের ক্ষমতা মাপার যে ইউনিট, সেই বিচারে এটির ক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুশ' পেটাফ্লপ। এটি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে। আইবিএম এবং এনভিডিয়া মিলে এই সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের এক নম্বর সুপার-কম্পিউটার বলে বিবেচনা করা হতো চীনের 'সানওয়ে তাইহুলাইট'কে। এটির প্রসেসিং ক্ষমতা ছিল প্রতি সেকেন্ডে তিরানব্বুই পেটাফ্লপ। চীনের রয়েছে সবচেয়ে বেশি সুপার-কম্পিউটার সুপার-কম্পিউটার সাধারণত আকারে যেমন বিশাল হয়, তেমনি এগুলো তৈরি করাও অনেক ব্যয়বহুল। এগুলোর ভেতরে থাকে লক্ষ লক্ষ প্রসেসর, যেগুলোকে ডিজাইন করা হয় বিশেষ ধরণের হিসেব-নিকেশ করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন তৈরি সামিট সুপার-কম্পিউটারটি শুরুতে মূলত ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, ক্যান্সার গবেষণা এবং সিস্টেম বায়োলজির কাজে। সামিট সুপার-কম্পিউটারে ৪ হাজার ৬০৮টি কমপিউট সার্ভার আছে। এটির মেমোরি হচ্ছে দশ পেটাবাইট। গত ৮ই জুন এটি প্রথম চালু করা হয়েছে। ওকরিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পরিচালক ড: থমাস জাচারিয়া জানিয়েছেন, এই সুপার কম্পিউটারটি আসলে ধাপে ধাপে যুক্ত করে যখন তৈরি করা হচ্ছিল, তখন থেকেই এটিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সুপার-কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতা: ২০১৭ সালে সর্বশেষ যে সুপার-কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচশোটি সুপার কম্পিউটারের ১৪৩টি আছে যুক্তরাষ্ট্রে, আর ২০২টি আছে চীনে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে অনেকদূর এগিয়ে আছে চীন। সামিট তৈরি করার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার-কম্পিউটার ছিল টাইটান। বিশ্ব র্যাংকিং-এ এটির অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থানে। সামিটের উদ্বোধনের সময় সেখানে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী রিক পেরি বলেন, "আমরা জানি যে এক্ষেত্রে আমরা একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি। কাজেই কে আগে যেতে পারে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।" তাঁর মতে আমেরিকা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে তারা এই প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পেরেছে। তিনি বলেন, সামিট সুপার-কম্পিউটার হিসেবে এতই শক্তিশালী যে, তিরিশ বছর ধরে জমা করা সব তথ্য যদি একটি ডেস্কটপে রাখা হয়, মাত্র এক ঘন্টায় সামিট তা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। | সুপার কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতায় এবার চীনকে পেছনে ফেলে অনেকদূর এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র । |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অটিস্টিক শিশুদের সৃজনশীলতার বিকাশে পরিবারের সচেতনতা বেশ জরুরি। (ফাইল ফটো) অটিজম আক্রান্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে কতোটা -সে বিষয়ে তার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছিলেন মিসেস দীপা। 'শুরুতে বুঝতেই পারিনি যে কার কাছে যাব' মিসেস দীপা শুরুতে যে সমস্যাটির মুখোমুখি হয়েছিলেন সেটা হল তার ছেলের এই বিষয়টি শনাক্ত করা নিয়ে। জন্মের পর থেকে তার ছেলের বেড়ে ওঠা, শারীরিক গড়ন, চালচলন সবই ছিল স্বাভাবিক। শুরুতে একটা দুইটা শব্দ দিয়ে কথা বলতে শুরু করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে বা যে হারে কথা বলা স্বাভাবিক, সেই অনুযায়ী তার ছেলের উন্নতি চোখে পড়ছিল না মা দীপার। এছাড়া আচার-আচরণেও বড় ধরণের পার্থক্য চোখে পড়ে তার। আরও পড়তে পারেন: কিভাবে অটিজম শনাক্ত করবেন? অটিজম নিয়ে এখনো কেন মানুষের ধারণা বদলাচ্ছে না? 'খাবারের প্রতি অনীহার কারণ হতে পারে অটিজম' অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২রা এপ্রিল পালন হয় অটিজম সচেতনতা দিবস। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, "তার সমস্যা শনাক্ত করতেই আমাদের দেড় থেকে দুই বছর সময় লেগে যায়। বয়স হওয়ার পরও সে পূর্ণ বাক্য বলতে পারছিল না।" "এছাড়া সমবয়সী বাচ্চাদের সাথে খেলত না, সমবয়সী বাচ্চাদের মতো আচরণ করতো না।" কিন্তু ছেলের এই বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ হলেও তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে এগুলো নিয়ে কার সাথে কথা বলবেন, কার কাছে যাবেন। পরে একদিন তার এক নারীর সঙ্গে দেখা হয়। যার সন্তানও অটিজমে আক্রান্ত। তিনি দীপাকে সরকারি শিশু হাসপাতালের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মিসেস দীপা বলেন, "আমি এটা বুঝতাম যে আমাকে এমন কারও কাছে যেতে হবে যিনি আমার ছেলের মূল সমস্যাটা ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।" "কিন্তু এই জায়গাটা খুঁজে পেতে আমার অনেক সময় লেগে যায়।" শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার সন্তানকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন যে শিশুটি অটিজমে আক্রান্ত। "আমার ছেলেটা ঠিক বয়সেই বসেছে, হেঁটেছে, শব্দ বলেছে। তারপরও পরিচিত সবাই বলতো, তোমার বাচ্চাটা অন্যদের চাইতে একটু আলাদা।" "তার প্রেক্ষিতেই আমি একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলি," বলেন মিসেস দীপা। অটিজমকে ঘিরে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে? এ ব্যাপারে মিসেস দীপা বলেন, "একজন অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মা এবং একজন স্পেশাল এডুকেটর হিসেবে আমি বলবো অনেক পরিবর্তন এসেছে।" "আমার সন্তানের যখন অটিজম ধরা পড়ে, তখন পরিস্থিতি এতোটা রক্ষণশীল ছিল যে, একজন শিশু বিশেষজ্ঞও নিজ মুখে বলতে পারেননি যে আমার ছেলে অটিজমে আক্রান্ত। সেটা তাকে লিখে জানাতে হয়েছে।" কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে এবং আজকাল কম-বেশি সবাই অটিজমের লক্ষণগুলো জানে, তাদেরকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে, তাদের ব্যবস্থাপনা, পরিচর্যা সম্পর্কে সচেতন বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, একসময় যারা 'ডিজঅ্যাবিলিটি নিয়ে কাজ করতেন তারাও অটিজম নিয়ে কাজ করতে চাইতেন না'। "কারণ ভাবা হতো যে অটিজমের ম্যানেজমেন্ট আলাদা। কেউই এই বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে চাইতো না।" কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটটা সেই রকম নেই। বরং এখন অনেক অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ স্কুলে আসতে দেখা যায় বলে উল্লেখ করেন মিসেস দীপা। অটিস্টিক শিশুর জন্মের জন্য কি বাবা-মা দায়ী? রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগে খুশি তিনি? বাংলাদেশেও সরকার গত কয়েক বছরে প্রতিবন্ধীদের জন্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের কল্যাণের লক্ষ্যে বেশ কিছু আইনও করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের ব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মিসেস দীপা। তবে এসবের পাশাপাশি বিশেষ শিশুদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রাপ্তবয়স্ক অটিস্টিকদের নিয়েও কাজ করার আহ্বান এছাড়া অটিস্টিকে আক্রান্ত বলতেই এখনও অনেকেই শিশুদের বোঝে। কিন্তু অনেক পরিণত মানুষও আছেন যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। তাদের বিষয়টা কিন্তু কখনোই সামনে আনা হয়না। এই প্রাপ্তবয়স্ক অটিস্টিকদের নিয়ে জোরালোভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। মিসেস দীপা বলেন, "অটিস্টিকদের জন্য চাকরির বাজার তৈরি আছে। অনেকেই তাদের কাজ দিতে চাইছে।" "কিন্তু সেখানে কাজ করতে গেলে যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সেটা কারও নেই। তাই শিশুদের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট অটিস্টিকদের নজরে আনাটা জরুরি।" আট দশটা মানুষ যেভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে, গণ পরিবহন ব্যবহার করে, রাস্তাঘাটে চলাচল করে, একজন অটিস্টিকের ক্ষেত্রে সেই বাস্তবতাটা ভিন্ন। বর্তমানে অনেক অটিস্টিক শিশুই চাকরি করছে। কিন্তু তাদের জন্য অফিসে যাওয়াটাই খুব কঠিন হয়ে যায়। সেই বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করার প্রয়োজন বলে মনে করেন মিসেস দীপা। | ঢাকার বাসিন্দা নূরজাহান দীপার ২০ বছর বয়সী ছেলে অটিজমে আক্রান্ত। এই সমস্যার ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব আর সামাজিক নানা গৎবাঁধা ধারণার কারণে এখনো তাকে ছেলেকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | চীনে সন্তান ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নারীর সংখ্যা কমে গেছে। দেশটিতে সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীর সংখ্যা ইদানীং কমে যাচ্ছে। অথচ দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০০ সালের পর এখন সবচাইতে বেশি। গত বছর চীনে এক কোটি আশি লক্ষের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে। যার হার তার আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটিতে আরো দুই কোটি শিশু জন্ম নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে ১৯৭৯ সাল থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে এক সন্তান নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছিলো। অর্থাৎ দম্পতিরা একটির বেশী সন্তান নিতে পারতো না। সেই নীতি বাস্তবায়ন করতে দেশটিতে রাষ্ট্র কর্তৃক জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ রয়েছে। ছেলে সন্তানের আশায় কন্যা সন্তান ও ভ্রূণ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর। যার কারণে চীনে নারীর সংখ্যাও কমে গেছে। আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে আগুন লাগার কারণ খুঁজে পেয়েছে স্যামসাং এক সন্তান নীতিতে কেমন ছিল চীনের জীবন চীনে কোনও ভাইবোন ছাড়া বড় হয়েছে লক্ষ লক্ষ শিশু। সেই নীতি বছর খানেক আগে শিথিল করা হয়েছে। এখন দেশটিতে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারছেন। আর এর পর থেকেই জনসংখ্যার হার বাড়তে শুরু করে। এক বছরে প্রায় দুই কোটি শিশুর জন্ম যেকোন দেশের জন্য বিশাল একটা ব্যাপার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এরপরও তা চীনের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এক সন্তান নীতিমালা থাকার কারণে সেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। মানুষজন বয়স্ক হতে শুরু করেছে, কিন্তু সেই তুলনায় তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়নি। আর বয়স্ক জনসংখ্যা দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সামর্থ্য রাখে না। একই সাথে সন্তান জন্মদানেও সক্ষম নয়। এতে করে শ্রম দিতে সক্ষম প্রতি বছর এমন পঞ্চাশ লাখ জনশক্তি হারাচ্ছে দেশটি, এবং সেটি চলতে থাকবে আগামী আরো অনেক বছর। যতদিন পর্যন্ত না আগামী কয়েক বছরে নতুন জন্ম নেয়া শিশুরা যুব শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। | বিশ্বের সবচাইতে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। দেশটির জনসংখ্যা এখন একশো পঁয়ত্রিশ কোটির উপরে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ২০১৬ সালের রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্লিভল্যান্ড শহরে মোটামুটিভাবে ১১টি সুইং স্টেট রয়েছে যেখানে ভোটের হিসেব ঝুলে আছে সূক্ষ্ম সুতোয়। অর্থাৎ এসব রাজ্যে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি সমর্থন প্রায় সমান সমান। তাই ভোটের ফলাফল যে কোন সময় যে কোন দিকে যেতে পারে। এবার নির্বাচনের খবর জোগাড় করতে গিয়ে যেখানেই গিয়েছি, মানুষজনের সাথে কথা বলা পর মোটামুটিভাবে আন্দাজ করতে পেরেছি ভোটের হাওয়া কোন্ দিকে বইছে। কিন্তু ক্লিভল্যান্ডে এসে সব গুলিয়ে গিয়েছে। এখানে ভোটারদের সাথে কথা বলার পর মনে হয়েছে এরা হয় হিলারি ক্লিনটন এবং ডনাল্ড ট্রাম্প দুজনকেই ভালবাসেন, নয়তো দুজনকেই অপছন্দ করেন। জ্যানেট, অরোরা শহরের ভোটার "ওহাইও এমন প্রার্থীকে বেছে নেয় যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়। এর পেছনে কারণ হলো আমরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিই যে ভোটটি কাকে দেব" - ব্যাখ্যা করছিলেন ক্লিভল্যান্ডের প্রতিবেশী শহর অরোরার বাসিন্দা জ্যানেট। তিনি জানালেন, বেশিরভাগ ওহাইওয়ান বাস্তববাদী। প্রার্থীদের মিষ্টি মিষ্টি কথায় তারা ভোলেন না। নির্বাচনের আগে ঝলমলে প্রতিশ্রুতিকে তারা পাত্তা দেন না। জনপ্রিয় টিভি টকশো হোস্ট জেরি স্প্রিংগার একবার এখান থেকে সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবং তুমুল জনপ্রিয় হলেও ওহাইওয়ানরা তাকে ভোট দেননি। সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে ওহাইওর রয়েছে চমকপ্রদ ইতিহাস। গত ৩০ জন প্রেসিডেন্টের মধ্যে ২৮ জনই ওহাইও অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। ১৯৬০ সাল থেকে ওহাইও এমন সব প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে, যারা শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সেকারণেই রাজনৈতিক পণ্ডিতরা ওহাইওকে রাষ্ট্রপতিদের সূতিকাগার বলে বর্ণনা করেন। কিন্তু প্রার্থী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে ওহাইওয়ানরা প্রার্থীর কোন্ কোন্ গুণাবলীর দিকে নজর রাখেন? লোরি, পাশে তার ছেলে - এরা থাকেন পেরিসবার্গে কথা হচ্ছিল ছোট্ট এক শহর পেরিসবার্গের বাসিন্দা লোরির সঙ্গে। তিনি বললেন, এমন একজনকে তিনি বেছে নিতে চান যিনি সৎ ও গণতান্ত্রিক। ওহাইওতে বহু খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন। বহু মানুষ আছেন যারা সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা চান তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সেটা বিবেচনা করেই তারা ভোট দেবেন। নির্বাচনের প্রচারকার্য চালানো যাদের দায়িত্ব তারা সুইং স্টেট হিসেবে ওহাইওকে বেশি পছন্দ করেন। তার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। এই অঙ্গরাজ্যকে বলা যায় সারা দেশের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। এই স্টেটে শহর-গ্রাম, ধনী-গরিবের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ভারসাম্য রয়েছে। এখানে শ্বেতাঙ্গ ভোটার বেশি। হিসপ্যানিক ভোটার অন্যান্য স্টেটের তুলনায় কম। এছাড়া ন্যাশনাল পালস্ বা জাতীর হৃৎস্পন্দনকে ওহাইওয়ানরা খুব ভালভাবে বুঝতে পারেন। অ্যানা নরডিনি, ক্লিভল্যান্ডের ভোটার অ্যানা নরডিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্লিভল্যান্ডে আছেন। এই শহরের পরিবর্তনগুলো তার চোখের সামনেই ঘটেছে। তিনি বলছিলেন, আগে নিরাপত্তার ইস্যুটা খুব বড় প্রশ্ন ছিল, কিন্তু এখন মানুষের প্রধান চিন্তা তার চাকরি-বাকরি। "তারা ভাবেন তাদের চাকরি থাকবে কিনা, বাড়ির মর্টগেজ তারা ধরে রাখতে পারবেন কিনা, কিংবা পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব তারা ঠিকমত পালন করতে পারবেন কিনা ইত্যাদি।" এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ওহাইওর ওপর। প্রতিদিনই কোন না কোন প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে কেউ না কেউ আসছেন ভোট চাইতে। প্রচারের কাজে ব্যয় করছেন লক্ষ লক্ষ ডলার। গত শুক্রবারেই ক্লিভল্যান্ডে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করে এক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন পপতারকা জে-যি এবং তার স্ত্রী বিয়ন্সে। ওহাইওর শহর বীচউড তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। ওহাইওর ভোটাররা কাকে বাতিল করবেন? হিলারি না ট্রাম্পকে? ট্রাম্প এখানে জিতলে সারা দেশেও তিনি জিততে পারবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অন্যদিকে, অতীতে ওহাইওতে না জিতেও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ১৯৬০ সালের সেই নির্বাচনের নায়ক ছিলেন জন এফ কেনেডি। ওহাইওর মন জয় করতে হলে হিলারি ক্লিনটনকে হয়তো কেনেডি হতে হবে। | ক্লিভল্যান্ড, ওহাইও ৬ই নভেম্বর, ২০১৬ - আমেরিকাতে ক্রিকেট জনপ্রিয় না হলেও এ দেশে নির্বাচনের খেলায় সুইং করার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ আজানের বাণী বদলে দিয়েছে। খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজ নামের দুটি সংবাদপত্র তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে, সোমবার আমিরাতের মসজিদগুলো থেকে যে আজান দেয়া হয় তাতে একটি নতুন বাক্য যুক্ত হয়েছে। আজানে যুক্ত করা এই নতুন বার্তায় লোকজনকে বাড়িতে থেকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের রীতিতে মসজিদে এসে নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়ে যে আজান দেয়া হয় তার বাণীতে একটি বাক্য হচ্ছে 'হাইয়া আলা আল-সালাহ' - যার অর্থ নামাজ পড়তে আসুন। নতুন আজানে শোনা যাচ্ছে মুয়াজ্জিন বলছেন, 'আল-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম' - অর্থাৎ বাড়িতে থেকে (অথবা আপনি যেখানে আছেন সেখানে থেকেই) নামাজ পড়ুন। মুয়াজ্জিনকে এ বাক্যটি দু'বার বলতেও শোনা যায়। দুবাইয়ের ইসলামিক এফেয়ার্স এ্যান্ড চ্যারিটেবল এ্যাকটিভিজ ডিপার্টমেন্টকে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ জানাচ্ছে, ওই বিভাগের ইনস্টাগ্রাম পেজে পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়, "প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় ও সামাজিক দায়িত্বে প্রতি অঙ্গীকার অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে দুবাইয়ের সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া স্থগিত থাকবে, এবং জনগণকে তাদের বাড়িতে থেকে নামাজ পড়তে বলা হবে এবং এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হবে।" গালফ নিউজ জানায়, এই পোস্টের আরবি সংস্করণে শেষে একটি লাইন জুড়ে দেয়া হয়েছে যাতে বলা হয়, (এ পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনাদের সচেতন করতে) এখন মুয়াজ্জিনকে বলতে শোনা যাবে 'বাড়িতে নামাজ পড়ুন'। খালিজ টাইমসের রিপোর্টে বলা হয় 'দ্য জেনারেল অথরিট অব ইসলামিক এ্যাফেয়ার্স এ্যান্ড এনডাওমেন্টস' সোমবার বলেছে, "মসজিদগুলো থেকে মুসল্লিদেরকে নামাজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন করতেই শুধু আজান দেয়া হবে। মসজিদের দরজা বন্ধ থাকবে।" কোভিড নাইনটিন বিস্তার ঠেকানোর জন্য আমিরাতে মসজিদে এসে নামাজ পড়া স্থগিত হয়েছে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই নতুন আজানের ভিডিও পোস্ট করে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। করোনাভাইরাস বা কোভিড নাইনটিন বিস্তার ঠেকানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে মসজিদে এসে নামাজ পড়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ চার সপ্তাহ। সোমবার রাতে আমিরাত সরকারের এ নির্দেশ ঘোষিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব জায়গাতেই এক মাসের এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে বলে গালফ নিউজের সংবাদে বলা হয়। কুয়েতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আমিরাতে অন্তত ১০০ জনের দেহে কোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এখন ১ লাখ ৭৩ হাজার লোক কোভিড নাইনটিন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে, এবং মারা গেছে সাত হাজার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা একে বিশ্বব্যাপী মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। সৌদি আরবেও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া স্থগিত সউদি আরবেও মসজিদে গিয়ে সব রকমের নামাজ পড়া স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। তবে শুধু মাত্র মক্কায় ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম স্থান এবং আল-মদিনার মসজিদ দুটিকে এ নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। সৌদি আরবে ১৩৩ জন লোক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন | করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ আজানের বাণী বদলে দিয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে শেরপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুরসহ ১০টির বেশি জেলায় বাস মালিক শ্রমিকরা কোন আগাম ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন দুইদিন ধরে। তাদের পাশাপাশি এখন পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদও বুধবার থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বলছিলেন, নতুন আইনে জেল জরিমানা অনেক বেশি হওয়ায় তারা এর বিরোধিতা করছেন। বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের প্রধান দু'টি সংগঠনের দু'জন শীর্ষ নেতা শাজাহান খান এবং মসিউর রহমান রাঙ্গা। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। শাজাহান খান এবং মসিউর রহমান রাঙ্গা দুজনেই বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাদের দু'টি সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট বা কর্মবিরতির কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি। কিন্তু তারা আবার একইসাথে একথাও জানিয়েছেন যে, শ্রমিকদের দাবিকে তারা সমর্থন করেন। বাংলাদেশে সড়কপথে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না কোনভাবেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, সরকারের গঠিত কমিটিতে তারা আইনটিতে বিভিন্ন অপরাধের ব্যাপারে জরিমানা কমানোসহ বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করেছিলেন। সেই আলোচনা যখন চলছে তার মধ্যেই আইনটি কার্যকর করা হয়েছে। "একজন ড্রাইভারকে যদি ৫লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, তারপক্ষে সেই টাকা দেয়া সম্ভব নয়। চালককে ৮ম শ্রেণী এবং তার সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণী পাস হতে হবে। এখন একজন দীর্ঘদিন সহকারীর কাজ করে তারপর চালক হলে সে ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট কোথায় পাবে? এটা শিথিল করার কথা আমরা বলেছি। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয়ে সংশোধনীর প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।" নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল এক বছরেরও বেশি সময় আগে। এতদিন পর তা কার্যকর করা হলে বাস ট্রাকের মালিক শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে কেন সংকট তৈরি করছেন-এমন প্রশ্ন তুলেছে যাত্রীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারি সংগঠনগুলো। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী দেশে ৭০ লাখের মতো বাস ট্রাক চালকের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখের নিবন্ধন বা লাইসেন্স নেই। আর ৬০ শতাংশ বাস,মিনিবাসের ফিটনেস নেই। এসব সমস্যার জন্য নতুন আইনে বড় অংকের জরিমানা গুনতে হবে। এটি একটি ভীতি তৈরি করেছে এবং মূলত এই কারণেই মালিক শ্রমিকরা বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মনে করছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতা মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আরও পড়ুন: সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে, পক্ষে বিপক্ষে যতো কথা বাংলাদেশে সড়কে শৃঙ্খলা: সমাধান সূত্র আছে যেখানে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: কী ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে? নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নামের একটি সংগঠনের পরিচালক ফারিহা ফতেহ বলছিলেন, কথায় কথায় যানবাহন বন্ধ না করে মানুষকে দুর্ভোগে না ফেলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ছিল। "আপনি আইন ভঙ্গ করবেন, এটার জন্য আপনাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাবে না, এটাওতো ঠিক না। কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আপত্তি থাকলে আপনারা সরকারের সাথে বসেন, আলোচনা করেন। কিন্তু এভাবে যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে দেশের বিপদ ডেকে আনলাম, মানুষকে দুর্ভোগে ফেললাম-এটা ঠিক নয়।" সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল গত বছর তবে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে স্বার্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, পরিবহন শ্রমিক মালিকরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছে না। তারা আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। "মানুষকে জিম্মি করার অভিযোগ সঠিক নয়। শ্রমিকরা তাদের সমস্যা তুলে ধরে। কোন সমাধান না হলে তখন গিয়ে আন্দোলনের প্রশ্ন আসে।" এদিকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বিআরটিএ কার্যালয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সব পক্ষের সাথে আলোচনায় বলেছেন, কাউকে শাস্তি দেয়ার জন্য এই আইন করা হয়নি। এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিমানার বিষয় এখন সহনীয় পর্যায়ে রেখে অর্থ্যাৎ আপাতত কিছুটা কম জরিমানা করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। | নতুন এক আইনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের একাংশ যে ধর্মঘট শুরু করেছে, তাতে পেছন থেকে সমর্থন যোগাচ্ছেন সরকারেরই দুই সাবেক মন্ত্রী। অন্যদিকে এই আইন স্থগিত রাখার দাবি নাকচ করে দিয়ে সরকারও অনড় অবস্থান নিয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, গ্রাহকদের মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইসে এক ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি এমন একটি স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিচ্ছে হ্যাকাররা - যাতে দূর থেকে কারো মোবাইল কল বা টেক্সট বার্তার ওপর নজরদারি করা যাবে। প্রশ্ন হলো: আপনি কি করতে পারেন, কিভাবে ঠেকাবেন একে? হোয়াটসআ্যাপ তাদের প্রায় ১৫০ কোটি গ্রাহককে দ্রুত তাদের আ্যাপটি আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছে। মনে রাখবেন সেই আপডেট আপনাকে করতে হবে নিজে নিজে - যাকে বলে ম্যানুয়েলি। কারণ অ্যাপস্টোরের মাথায় সেই লাল ডটের হাতে এটা ছেড়ে দিলে চলবে না, যেহেতু অ্যাপটি হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আরও কি কি করার আছে? হোয়াটসএ্যাপের মতো ইন্টারনেটে সেবার জনপ্রিয়তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণই ছিল এর নিরাপত্তা। অর্থাৎ যার অ্যাকাউন্ট - তিনি ছাড়া আর কেউ এতে কোনভাবে ঢুকতে পারবে না, জানতে পারবে না তিনি কি বলছেন, কি বার্তা বিনিময় করছেন - তার গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বলা হচ্ছে আপনা-আপনি ফোনে ইনস্টল হয়ে যেতে পারে এই স্পাইওয়্যার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই স্পাইওয়্যার - যা ইসরায়েলে তৈরি বলে বলা হচ্ছে তা সেই নিরাপত্তা দেয়ালও ভাঙতে সক্ষম, নজরদারি করতে সক্ষম। যে কলটির ঘাড়ে চড়ে এই স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে ঢুকছে - সেই কলটি আপনি না নিলেও তা আপনা-আপনি আপনার ফোনে ইনস্টল হয়ে যাবে। সেই কলটি আপনি দেখতেও পাবেন না, কারণ হ্যাকাররাই তখন আ্যাপটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। তাই এখানে জেনে নিন, আর কি কি করতে পারেন আপনি। ব্যাকআপ সেটিং বদলানোর কথা ভেবে দেখুন যদি আপনি নিজে বা আপনার কোন বন্ধু আপনাদের মধ্যকার হোয়াটসঅ্যাপের কথাবার্তা আইক্লাউডে বা গুগলড্রাইভে ব্যাকআপ করে রাখেন - তাহলে একটা সমস্যা আছে। সেটা কিন্তু এনক্রিপ্টেড নয় অর্থাৎ গোপনীয়তার সুরক্ষা এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না। ডিজিটাল ডিভাইসে এক ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিচ্ছে হ্যাকাররা। তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলে আপনি হয়তো ব্যাকআপ ডিজএ্যাবল অর্থাৎ অকার্যকর করে দিতে পারেন। আপনার সেটিং-এ গিয়ে চ্যাট ব্যাকআপ অপশন থেকে আপনি এটা করতে পারেন। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন যে কোন তথ্য নিরাপদ এবং অন্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার জন্য মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন একটা ভালো উপায়। এই চিহ্ন দেখলে বুঝবেন বিপদ ঘটেছে। এর মাধ্যমে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে আপনি নিজে ছাড়া অন্য কারো ঢোকার পথে একটা অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেয়াল তুলে দেওয়া যায়। এটা আপনি সেটিংএ গিয়ে পরিবর্তনও করতে পারেন। প্রাইভেসিতে গিয়ে সব অপশনগুলো দেখুন হোয়াটসঅ্যাপ সহ অনেক অ্যাপেরই নানা রকম নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি সেটিং>অ্যাকাউন্ট>প্রাইভেসিতে যান তাহলে আপনি সবই দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন আপনার প্রোফাইল ফটো, বা আপনি কোথায় ছিলেন বা আছেন তা কে কে দেখতে পারবেন। আপনি 'read receipt' অর্থাৎ কারো পাঠানো বার্তাটি যে আপনি পড়েছেন তার প্রমাণস্বরূপ সেই টিক চিহ্নটা সুইচ অফ করে দিতে পারেন। আপনার কি দুশ্চিন্তার কারণ আছে? আপনি যদি একজন আইনজীবী, এ্যাকটিভিস্ট, মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিক হন - তাহলে ব্যাপারটা জরুরি। আপনি যদি এরকম কিছু না হন তাহলে হয়তো অতটা চিন্তার কারণ নেই। আরো পড়তে পারেন: ফেসবুক থেকে এক মাস দুরে থাকা কি সম্ভব? 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি | জনপ্রিয় মেসেজিং আ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | চাঁদনি চক এলাকায় চলছে পুলিশি টহল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লির পুলিশ প্রধানও জানিয়েছেন, হামলাকারীদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও খোঁজ চলছে। এদিকে হাউজ কাজি নামে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে হিন্দু ও মুসলিম সমাজের নেতারা ঘন ঘন শান্তি বৈঠক ও পদযাত্রা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরনো দিল্লির অতি ঘিঞ্জি এলাকা হাউজ কাজিতে রবিবার বেশি রাতে দুই হিন্দু ও মুসলিম প্রতিবেশীর মধ্যে বাড়ির সামনে মোটরবাইক পার্ক করাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ বচসা হয়েছিল। তার জেরেই ঘন্টাকয়েক পর স্থানীয় দুর্গা মন্দিরে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই মন্দিরেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় এমএলএ অলকা লাম্বা বুধবার বিবিসিকে বলেন, "এই এলাকাটা গঙ্গা-যমুনা তেহজিব বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক পীঠস্থান।" "অথচ এখানেই পার্কিং নিয়ে সামান্য ঝগড়ার জেরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ছড়িয়ে পড়ল যে এলাকায় না কি মব লিঞ্চিং চলছে।" "হ্যাঁ, দুর্গা মন্দিরে পাথর ছোঁড়াতে কিছু কাচ ভেঙেছে বা মন্দিরের ক্ষতি হয়েছে এ কথা ঠিকই - কিন্তু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বা আগুন লাগানো হয়েছে বলে যে সব রটনা চলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।" এদিকে দুর্গামন্দিরে হামলার এলাকায় গত তিনদিন ধরেই চলছে তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। চাঁদনি চকের বিজেপি এমপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন এলাকা পরিদর্শন করে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে চাঁদনি চক এলাকা আরো পড়তে পারেন: কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী আমেরিকার ইমিগ্র্যান্ট বন্দিশালার ভয়াবহ চিত্র গলার ভেতর হিজাব পিন, সতকর্তা কেন জরুরি? তিনি বলেন, "এই ঘটনা যতই যন্ত্রণাদায়ক ও হৃদয়বিদারক হোক তারপরও মহল্লায় সৌহার্দ্য রক্ষা করতেই হবে।" "পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধেও কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।" পুরনো দিল্লির ফতেহপুরী শাহী মসজিদের প্রভাবশালী ইমাম মুফতি মুকাররম আহমেদ আবার জানাচ্ছেন, "প্রায় তিন দশক আগে লালকৃষ্ণ আদভানির রথযাত্রাও কিন্তু এই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল।" "তখনও কিন্তু আমাদের মসজিদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়েছিল, ইমামসাহেবকে আঘাত করা হয়েছিল ত্রিশূল দিয়ে।" ফতেহপুরী শাহী মসজিদের ইমাম মুফতি মোকাররম আহমেদ "তবে আমরা ওই ঘটনায় তেমন কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে আপোস করেছিলাম - কোনও মামলা হয়নি, কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি।" এবারেও মুসলিমরা প্রয়োজনে মন্দিরের পুনর্নিমাণে সাহায্য করবে বলে জানিয়ে এই মুফতি বিষয়টা আপোসে মিটিয়ে নেওয়ারই আবেদন জানাচ্ছেন। ড: সুরেখা নাঈমের মতো এই স্থানীয় বাসিন্দারাও একবাক্যে জানাচ্ছেন, এলাকার সম্প্রীতির পরিবেশ যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে হবে। "চাঁদনি চকের হিন্দু-মুসলিমরা যেভাবে একে অন্যের উৎসবে ও আনন্দে চিরকাল ভাগীদার হয়ে এসেছেন, সেই সংস্কৃতি তারা কিছুতেই নষ্ট হতে দেবেন না", বলছিলেন তিনি। চাঁদনি চক এলাকার আম আদমি পার্টি বিধায়ক অলকা লাম্বা পাশ থেকে সুধীর ত্রিপাঠীও যোগ করেন, "খুব সম্ভবত বাইরের লোকরা এসেই এই ধরনের অসামাজিক কাজ করে গেছে।" "কিন্তু আমাদের দুই সম্প্রদায়ের মুরুব্বিরাই একমত, তার জন্য নিজেদের মধ্যেকার এতদিনকার ভালবাসার সম্পর্ক নষ্ট করা চলবে না।" হাউজ কাজি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতার দিকে এগোলেও এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশের প্রধানকে দিল্লির নর্থ ব্লকে মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে তলব করেন। এর পর থেকেই এলাকায় নতুন করে নানা জল্পনা ও উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্রিফ করে আসার পর দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পটনায়ক অবশ্য জানান, "পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।" "আমরা এর মধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে", সংবাদমাধ্যমকে বলেন তিনি। তবে দিল্লির ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র চাঁদনি চকে বুধবারও সব দোকানপাট খোলেনি। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার রেশ সেখানে যে এখনও পরিস্থিতি থমথমে করে রেখেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। | ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি হিন্দু মন্দিরে দু'দিন আগে এক ছোটখাটো হামলার পর এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হলে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার দিল্লি পুলিশের কমিশনারকে তলব করেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের দৃশ্য লক্ষ লক্ষ ভারতীয় টেলিভিশনের পর্দায় উপভোগ করেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটিতে নামতে গিয়ে অবতরণকারী যান - যার নাম বিক্রম - তার সাথে যোগাযোগ ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে পুরো অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছে। কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সাবেক প্রধান ও মহাকাশবিদ ড. বি.পি.দুয়ারি বিবিসিকে বলেন, চাঁদ প্রদক্ষিণকারী মহাকাশযান, যার নাম চন্দ্রযান-২, সেটি কিন্তু এখনও চাঁদকে ঘিরে ঘুরছে। এই যানটি উড়ে যাওয়ার সময় একসময় জানাতে পারবে যে বিক্রমের ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে। তিনি বলেন, "এখন বিক্রমের অবস্থা কী, কিংবা কী ঘটেছে, সেটা এই মুহূর্তে কেউই বলতে পারছেন না। কারণ তার সঙ্গে কোনরকম বেতার যোগাযোগ আর করা যায়নি।" "হয়তো যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার যেসব অন-বোর্ড যন্ত্রপাতি আছে, কম্পিউটার আছে, সেগুলো হয়তো ঠিকমতো কাজ করেনি বলেই আর যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।" ভারতের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরো-র প্রধান কে. সিভান বলেছেন, বিক্রমের নামার সময় যেসব ডেটা পাওয়া গেছে যেগুলো এখন বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। চন্দ্রযান-২ এর অবতরণের শেষ মুহূর্ত দেখছেন ইসরো-র কর্মচারীরা। চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করা হয় গত ২২শে জুলাই। এই রকেটের রয়েছে তিনটি ভাগ: একটি অরবিটার, অবতরণযান বিক্রম এবং প্রজ্ঞান নামে ছয়-চাকার একটি রোবট-চালিত গাড়ি। এর লক্ষ্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা। এর আগে ভারত চন্দ্রযান-১ নামে একটি রকেট পাঠিয়েছিল যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জলের কণার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিল। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা আশা করছিলেন চন্দ্রযান-২ তাদের সেই আবিষ্কারকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সূর্যের কাছ থেকে আড়াল থাকে বলে সেখানে তাপমাত্রা কম, এবং সেখানে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। যেভাবে বিচ্ছিন্ন হলো যোগাযোগ চন্দ্রযান-২ গত ২০শে অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। ইসরো-র সদর দফতরে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী ইন্টারনেট থেকে কি বের হয়ে আসা সম্ভব? নাগরিকত্ব হারানো চার হতভাগ্যের বয়ান বিবিসির কাছে শনিবার ভারতীয় সময় রাত একটায় প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে এটি অবতরণ শুরু করে। মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরো এই 'সফট ল্যান্ডিং'-এর দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করতে শুরু করে। টান টান উত্তেজনায় ভরা নিয়ন্ত্রণকক্ষের কাচের দেয়ালের ওপারে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ২.১ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকার সময় মহাকাশযানের সঙ্গে ইসরো-র নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্তব্ধ হয়ে যান ইসরো'র বিজ্ঞানীরা। অবতরণের ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণ অবতরণযান বিক্রম এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াকেই আপাতত প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছে ইসরো। তারা বলছে, সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পরেই জানা যাবে বিক্রমের অবতরণে কেন সমস্যা হয়েছিল। অবতরণযান বিক্রমের সাথে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। তবে এই ঘটনার পর জাতির উদ্দেশ্য দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বলে যে অবতরণ যানটি সম্ভবত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দ্রুত গতিতে অবতরণের সময় চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে। "ইতিহাসবিদরা যদি আজকের দিনটির কথা লিখে রাখেন, তাহলে তারা নিশ্চিতভাবেই বলবেন যে সারাজীবন ধরে চাঁদের যে কল্পনা আমরা করেছি, তাতে অনুপ্রেরিত হয়ে চন্দ্রযান তার যাত্রার শেষ-ধাপে চাঁদকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।" 'ভীতিকর ১৫ মিনিট' ইসরোর-র প্রধান কে. সিভান এর আগে মহাকাশযানের চাঁদে অবতরণের চূড়ান্ত মুহূর্তকে 'ফিফটিন মিনিটস অফ টেরর' বা ভীতিকর ১৫ মিনিট বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, তার ভূমির প্রকৃতি এবং ধুলো যে কোন অবতরণযানের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এপর্যন্ত শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সফলভাবে চাঁদের বুকে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সমর্থ হয়েছে। ইসরায়েল গত এপ্রিল মাসে 'বেরেশিট' নামে একটি মহাকাশযান চাঁদের বুকে নামানোর চেষ্টা করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। | চাঁদে নামতে গিয়ে ভারতের একটি মহাকাশযানের সাথে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ-কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পর একে সে দেশের মহাকাশ অভিযানের ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ১০টি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল আহসান বিবিসিকে জানান, ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ১০ রুটের সব ধরণের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ''আমরা দেখতে পেয়েছি, করোনাভাইরাসের কারণে কয়েকটি দেশ থেকে লোক বেশি আসছে। এ কারণে এসব রুটের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে কোন ফ্লাইট আসতে পারবে না।'' তিনি জানান, এসব দেশ হলো কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এসব দেশ থেকে আসা কোন বিমান বাংলাদেশে নামতে দেয়া হবে না। এর ফলে কার্যত বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। কারণ বিশ্বের প্রধান এয়ারলাইন্সগুলো এসব দেশ হয়েই বিমান চলাচল করে থাকে। তবে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং রুটে বিমান চলাচল অব্যাহত থাকবে। এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান যোগাযোগ রয়েছে। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: দিশেহারা বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো যেভাবে বিমান থেকে টেনে নামানো হল ১৯ ব্রিটিশ পর্যটককে বিশ্বজুড়ে অর্ধেকের বেশি ফ্লাইট বন্ধ করে দিলো বিমান বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এসব ব্যবস্থা নেয়া হলো। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সংক্রমিত ব্যক্তিরা বিদেশ ফেরত অথবা বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আক্রান্ত অন্যান্য দেশের সাথে ভ্রমণ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ থেকে বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ থেকে একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে বিমান সংস্থাগুলো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া কতদূর? করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? | শনিবার মধ্যরাত থেকে ১০টি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বসতে চলেছেন শেখ হাসিনা এবং ড কামাল হোসেন এর মানে কি এই যে প্রধানমন্ত্রী সংলাপে রাজি হলেও 'বর্তমান সংবিধানে যা আছে সেভাবেই নির্বাচনের' অবস্থান থেকে নড়ছেন না? ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দাবি 'সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন' - যা মেনে নিলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে এবং সরকারি দল কোনভাবেই তাতে রাজী নয় বলে বহুবার জানিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন: বিরোধীদের দাবি কতদূর মেনে নিতে পারেন শেখ হাসিনা? উপেক্ষিত হলে বিরোধীদের সামনেই বা বিকল্প কি? বৃহস্পতিবার যে সংলাপ গণভবনে শুরু হচ্ছে তার পরিণতি শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তো বটেই, বিশ্লেষকদের মধ্যে, এমনকি সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় পাতায় বহু পাঠক মন্তব্য করছেন, এই সংলাপ অর্থবহ কিছু বয়ে আনবে তা নিয়ে তাদের ভরসা নেই। বাপি সাইদ নামে একজন লিখছেন, "সংলাপ হবে। দাবী গুলো উপস্থাপন করা হবে। তারপর এগুলো পক্ষে বিপক্ষে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। সরকারী দল একটা বা দুইটা দাবী মানবে চাইবে তাও আবার শর্ত সাপেক্ষে। ঐক্য-ফ্রন্ট ওয়াক আউট করবে। আবার ডাকা হবে এভাবে সময় ফুরিয়ে যাবে। এক দিন দু' দিন করে বৈঠক চলতে চলতে অমীমাংসিত অবস্থায় ঝুলে যাবে।" জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ড তারেক শামসুর রহমান বিবিসিকে বলেন, সংলাপ "ফলপ্রসূ" হবে তা তিনি নিশ্চিত করে ভাবতে পারছেন না। কারণ, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি কতটা দাবি দাওয়া মানতে পারবেন। 'সংবিধান সংশোধন সরকার মানবে না' - ড তারেক শামসুর রহমান ড. রহমান বলেন, "সংবিধান সম্মত শব্দটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারো বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সংবিধানের ধারার বাইরে তিনি যাবেন না।" "সাত দফার অন্য কিছু তিনি হয়তো মেনে নিতে পারেন, কিন্তু সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তিনি মানবেন সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।" 'সংবিধান সংশোধন সরকার মানবে না' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলামও বলছেন, কিছু পূর্বশর্ত যে সরকার দেবে তাতে তিনি অবাক হচ্ছেন না। "সংবিধান সংশোধন সরকার মানবে না। সুতরাং নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন করার দাবি মেনে নেয়ার সম্ভাবনা আমি দেখছি না।" তিনি বলছেন - সাত দফার অন্য কিছু দাবি হয়তো সরকার মেনে নিতে পারে, যেমন ইভিএম ব্যবহার না করতে রাজী হতে পারে, বিরোধী নেতা-কর্মীদের মামলা সম্পর্কিত দাবি দাওয়া মেনে নিতে পারে, এমনকি ক্ষেত্র-বিশেষে সেনা মোতায়েনের কথাও হয়তো সরকার বিবেচনা করতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যাতে হতে পারে, সেটা প্রধানমন্ত্রী চাইছেন - ড সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ড. ইসলাম মনে করেন, সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্বাচন-কালীন একটি সরকার নিয়ে হয়তো প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করলেও করতে পারেন। "আপনার হয়তো মনে আছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিএনপির কিছু নেতাকে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া যেতে পারে, সেরকম কোনো ফরমুলা হয়তো আবারো সামনে আনা হতে পারে।" "সরকারের বাইরের কিছু লোককে টেকনোক্র্যাট কোটায় উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করার কথা সরকার ভাবতে পারে। সংবিধান সংশোধন না করে, সংসদ না ভেঙ্গেই সরকারে সে ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।" কিন্তু বিরোধী জোটের প্রধান দাবিই হচ্ছে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। জাতীয় ঐক্য-ফ্রন্ট নেতা ড কামাল হোসেন আজও (মঙ্গলবার) বিবিসির কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংবিধান সংশোধনের দাবি তারা তুলবেন। তিনি বলেন, "তারাই হীন স্বার্থে সংবিধানে সংশোধনী এনেছে ... সংবিধান এবং আইন পরিবর্তন তো কোনা ব্যাপারই না, এক মিনিটেই তা হতে পারে।" আরও পড়ুন: যে দুটি ইস্যুতে হোঁচট খেতে পারে সংলাপ ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন দাবি আদায় না হলে কী করবে বিরোধীরা? কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যদি সংবিধান প্রশ্নে অনড় থাকে, তাহলে পরিণতি কি দাঁড়াবে? ঐক্য ফ্রন্ট, বিশেষ করে বিএনপি, কি তারপরও নির্বাচন করবে? ড তারেক শামসুর রহমান বলছেন, বিরোধীরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। "আমি আপনাকে একশ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। যেটা হবে, সংলাপে দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে তারা মানুষজনকে বলবে দেখুন আমরা সরকারের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কিছু দিলনা, এখন আপনারাই বিবেচনা করুন।" তবে ড. মনজুরুল ইসলাম বলছেন, সরকার একটা সমঝোতার চেষ্টা করবে বলে তিনি মনে করেন। "এবারের নির্বাচনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যাতে হতে পারে, সেটা প্রধানমন্ত্রী চাইছেন।" সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলছেন, এই সংলাপ রাজনীতিতে "মুখ দেখাদেখি" বন্ধের মত অসহনীয় একটি পরিবেশ বদলাতে সাহায্য করবে বলে তার বিশ্বাস। "তাছাড়া আলোচনার টেবিলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। যা অতীতে কখনো হয়নি, তাও হতে পারে। আশাবাদী হওয়ার কারণ যে একেবারেই নেই, তা নয়।" এটা ঠিক যে সাত-দফা দাবিতে সংলাপের প্রস্তাব দেওয়ার পরদিনই সরকারের তা মেনে নেওয়া এবং চারদিনের মাথাতেই সংলাপের দিন-ক্ষণ-স্থান চূড়ান্ত করা নিয়ে অনেকটাই বিস্মিত বিরোধী জোট। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বিবিসির কাছে স্বীকারই করলেন যে সরকারের কাছ থেকে এত দ্রুত সাড়া তারা আশা করেননি। | সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চিঠি দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেনকে - তাতে 'সংবিধান সম্মত সকল বিষয়ে' আলোচনার কথা আছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ধর্ষণে বাধা দেয়ায় জোর করে এই দুই নারীর মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। একদল লোক ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়ে ঐ নারীদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, হামলাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও ছিল। ঐ নারীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের মারধর করে, তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেয় এবং তাদেরকে সারা গ্রাম জুড়ে হাঁটানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সাথে জড়িত আরো পাঁচজনকে খুঁজছে তারা। এএনআিই সংবাদ সংস্থাকে ভুক্তভোগী মেয়েটির মা জানায়, "লাঠ দিয়ে আমাদের বেদম প্রহার করা হয়। আমার শরীরে সব জায়গায় আঘাত পেয়েছি এবং আমার মেয়ের শরীরেও বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।" তিনি আরো জানান, সব গ্রামবাসীর সামনে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। আরো পড়তে পারেন: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা 'ধর্ষণের পর আমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল' 'আইনের প্রতি ভয় নেই' দিল্লি'র বিবিসি সংবাদদাতা গীতা পান্ডে মনে করেন, আইনকে ভয় না করার কারণেই এ ধরণের অপরাধের মাত্রা দিনদিন বাড়ছে। ধর্ষণের চেষ্টা করা যৌন সহিংসতামূলক অপরাধ। কিন্তু ধর্ষণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নির্যাতন এবং ঐ নারীদের মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে গ্রাম জুড়ে হাঁটানোর মত ঘটনা প্রমাণ করে যে একটি সম্প্রদায় কতটা পুরুষকেন্দ্রিক চিন্তা করতে পারে। আর সবচেয়ে অবাক করা এবং ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, হামলাকারীরা একজন সরকারি কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঐ নারীদের ওপর হামলা করে - যিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তার এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর রাখা যার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। অপরাধীদের ঔদ্ধত্যের মাত্রাই বলে দেয় যে ভারতের কিছু অংশে আইনকে একেবারেই পরোয়া করে না মানুষ। দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অনেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য পুলিশকে রাজি করাতে পারেন না বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর তাদের অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে যেমন গাফিলতি করা হয়, তেমনি ধীরগতির বিচার ব্যবস্থার ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালীরা অনেকসময়ই বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে যান। আর এরকম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের প্রতিবাদও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়, তা'ও নয়। স্থানীয় সংবদামাধ্যমকে একজন পুলিশ সদস্য বলেন, "ভুক্তভোগীদের বাড়িতে প্রবেশ করে কমবয়সী মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা চালায় একদল লোক।" রাজ্যের নারী বিষয়ক কমিশন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। কমিশন বলেছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে 'আরো ব্যবস্থা' নেয়া হবে। তবে এ ধরণের ঘটনা এই রাজ্যে এটিই কিন্তু প্রথম নয়। এপ্রিলে গণধর্ষণ প্রতিরোধ করার কারণে একটি মেয়ের ওপর অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। তার কয়েকমাস আগে বিহারের এক নারীকে নির্যাতনের পর নগ্ন অবস্থায় গ্রামের বাজারের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। ২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে গণধর্ষনের পরে এক নারীকে হত্যা করার ঘটনার পর থেকে এ ধরণের ঘটনায় জনগণের বিক্ষোভ প্রকাশ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আরো পড়তে পারেন: বরগুনা হত্যাকাণ্ড: ঘটনাস্থলে থাকলে আপনি কী করতেন? লন্ডনে এসে যেভাবে খুনি হয়ে উঠলো খুরাম বাট প্লাস্টিক ব্যাগের বাচ্চাটিকে নিতে আগ্রহী শত পরিবার রুয়ান্ডা গণহত্যা: "গণধর্ষণের শিশু আমি" | ধর্ষণে বাধা দেয়ায় 'শাস্তি' হিসেবে এক পরিবারের মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগে ভারতের বিহার রাজ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের যে দিকটা দেখতে পাই - তার উপরিতলে পানির অস্তিত্ব আছে। নাসা নিশ্চিত করেছে যে পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের যে দিকটা দেখতে পাই - তার উপরিতলে (সারফেস) পানি অণুর অস্তিত্ব আছে। কোন একদিন চাঁদের মাটিতে একটি ঘাঁটি তৈরির যে আশা তাদের আছে - তাকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিল এই আবিষ্কার। "আমরা আগেই আভাস পেয়েছিলাম যে চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে পানি থাকতে পারে, তবে এখন আমরা জানি যে হ্যাঁ, চাঁদের মাটিতে সত্যিই পানি আছে" - বলেন নাসা'র মহাকাশ-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক পল হার্টজ। নেচার এ্যাস্ট্রনমি নামে একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এক নিবন্ধে আবিষ্কারটির কথা জানিয়েছে নাসার স্ট্রাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড এ্যাস্ট্রনমি - সংক্ষেপে 'সোফিয়া'। পানির অণুতে দুটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেনের পরমাণু আছে। সোফিয়া বলছে, এর আগেও চন্দ্রপৃষ্ঠে কিছু হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তা পানির আকারে আছে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এবার চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে ক্লাভিয়াস নামে একটি জ্বালামুখে পানির অণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই পানির পরিমাণ কতটুকু? নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ফেলো কেসি হনিবল বলছেন, তাদের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি আছে। তুলনা হিসেবে বলা যায়, পৃথিবীতে সাহারা মরুভূমির মাটিতে যতটুকু পানি আছে তার পরিমাণও চাঁদের মাটিতে থাকা পানির ১০০ গুণ। নাসা নিশ্চিত করেছে যে এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি আছে। তাই বলা যায়, চাঁদের মাটিতে পানির পরিমাণ খুবই কম - কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি নতুন কিছু প্রশ্ন তুলছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে । সেগুলো হলো: পানি কীভাবে সৃষ্টি হয়? কীভাবে তা চাঁদের বাতাসশূন্য পরিবেশে টিকে থাকতে পারে? এই পানিকে কি ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের পক্ষে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে আরো গবেষণা দরকার - বলছেন নাসার আরেকজন বিজ্ঞানী জ্যাকব ব্লিচার। চাঁদের দুই মেরুর যে অংশগুলোতে কখনোই সূর্যের আলো পড়ে না - সেখানে জ্বালামুখগুলোতে বরফের অস্তিত্ব আগেই নিশ্চিত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা । ব্রিটেনের মিল্টন কীন্সের ওপেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী হানা সার্জেন্ট বিবিসিকে বলেন, সবশেষ আবিষ্কার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আমরা আগে যা অনুমান করেছিলাম তার চেয়ে চাঁদে আসলে অনেক বেশি পানি আছে। ফলে চাঁদের পানিকে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল বলে তিনি বলছেন। অনেক কাজে লাগানো যেতে পারে চাঁদের এই পানির মজুত কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল হেইন বলছেন, হয়তো চাঁদের মাটিতে শত শত কোটি বরফের মজুত আছে। তাই এ আবিষ্কারের ফলে একসময় বিজ্ঞানীদের কাজের জন্য এগুলো অনুসন্ধানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। রকেট ফুয়েল তৈরি সহ অনেক কাজে লাগানো যেতে পারে চাঁদের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাঁদের পানি আহরণ করার উপায় বের করা গেলে সেখানকার বরফ ও পানি একটা 'চান্দ্র অর্থনীতির' ভিত্তি হতে পারে। বিবিসির বিজ্ঞান সংবাদদাতা লরা ফস্টার বলছেন, হয়তো একদিন চাঁদের বুকের এ পানি মানুষের পান করার জন্য, খাদ্য চাষ করার জন্য বা রকেটের জ্বালানি তৈরির জন্য ব্যবহার করা যাবে - যা মহাশূন্যে আরো দূরের কোন অভিযানের সময় কাজে লাগবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা এর আগেই জানিয়েছে ২০২৪ সালে তারা চাঁদে নারী ও পুরুষ নভোচারী পাঠাবে এবং ২০৩০এর দশকে মঙ্গলগ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে একে কাজে লাগানো হবে। তা ছাড়া, রকেটের জ্বালানি তৈরির কাজটাও চাঁদের বুকে করতে পারলে তা পৃথিবীতে উৎপাদন এবং বহন করে নেবার চাইতে অনেক সস্তা হবে। হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়েই মহাকাশযানের জ্বালানি তৈরি হয় এবং এ কাজে তারা হয়তো চাঁদের পানিই ব্যবহার করতে পারবেন। আরো পড়তে পারেন: চাঁদের বুকে প্রথম নারী পা রাখবেন ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা মঙ্গল গ্রহে কি প্রথম যাওয়া উচিত একজন নারীর? চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো মনে করেন যারা | চাঁদের মাটিতে যে পানি আছে তা 'সুস্পষ্টভাবে' নিশ্চিত করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | রুপি নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে বুধবার দিল্লিতে বিরোধী সমর্থকদের বিক্ষোভ দিলিতে পার্লামেন্টে গান্ধীমূর্তির সামনে প্রায় সবগুলো বিরোধী দলের দুশোরও বেশি এমপি আজ বুধবার এক সারিতে দাঁড়িয়ে ব্যাঙ্কের টাকা তোলার লাইনে দাঁড়ানো মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিয়ে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-কে হুমকি দিয়েছেন, তারা কীভাবে পরের নির্বাচনে জেতে তিনি দেখবেন! সরকার অবশ্য এখনও বলছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনাই নেই। ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইতে তার নাটকীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দুসপ্তাহর বেশি কেটে গেছে - কিন্তু দেশে এখনও আর্থিক লেনদেন, ব্যবসাবাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের সামনে, এটিএম মেশিনের বাইরে মানুষের অন্তহীন অপেক্ষাও শেষ হচ্ছে না। আমজনতার এই ভোগান্তিকে অস্ত্র করেই আজ দেশের প্রায় সবগুলো বিরোধী দল সংসদ ভবনের বাইরে একজোট হয়েছিল। বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সতীশ মিশ্র বলছিলেন, "যেভাবে মানুষ টাকা জোগাড় করতে নাজেহাল হচ্ছে, সত্তরজনেরও বেশি মারা গেছেন - অথচ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বিরোধীদের মুখোমুখি হচ্ছেন না তার প্রতিবাদেই বিরোধী দলগুলোর এই যৌথ বিক্ষোভ।" দুশোরও বেশি এমপি এক লাইনে দাঁড়িয়ে দেশের মানুষকে এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন - ব্যাঙ্কের সামনে অপেক্ষারত মানুষদের প্রতি তাদের পূর্ণ সহানুভূতি আছে। সেই লাইনের মাঝখানে দাঁড়ানো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও দাবি করেন তারা কালো টাকার সমর্থক নন, কিন্তু মানুষের ভোগান্তির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, "দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, কিন্তু প্রশ্ন হল তা করতে গিয়ে একশো কোটি মানুষকে কেন এভাবে হেনস্থা করা হবে?" রুপি নোট সঙ্কট নিয়ে দিল্লিতে বিরোধীদল কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ এর একটু পরেই রাজধানীর যন্তর মন্তরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারকে আরও কঠোর ভাষায় হুমকি দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি - যিনি একেবারে প্রথম থেকে এই ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করে আসছেন। তিনি সেই জনসভায় বলেন, "যতদিন না মানুষের হাতে টাকা-পয়সা ব্যবহার করার ক্ষমতা ফিরছে ততদিন তার আন্দোলন চলবে - আমাকে গুলি করে, জেলে ভরেও সরকার দমাতে পারবে না।" এমন কী, সামনের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি এরপরেও কীভাবে জেতে তিনি দেখবেন - প্রধানমন্ত্রীকে এই চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন তিনি। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ''হিটলারের চেয়েও বেশি হঠকারী'' বলে বর্ণনা করেন তিনি। শুধু দিল্লিতে নয়, এরপর সারা দেশেই এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু সরকার দাবি করছে, সাধারণ মানুষ পুরোপুরি তাদের পাশে আছে। সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু এদিন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী দারুণ সাহসের সঙ্গে যে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে গোটা দেশ খুশি। এখন দশটা না বারোটা দল তার প্রতিবাদ করছে তাতে কিছু যায় আসে না, প্রশ্ন হল পার্লামেন্টে তাদের মোট আসন কতগুলো?" ফলে পাঁচশো ও হাজার রুপির নোট বাতিলকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীরা এখন একেবারে যুযুধান অবস্থানে। বিরোধীরা আন্দোলনের জন্য রাজপথকে বেছে নিলেও সরকার মনে করছে - পার্লামেন্টে তাদের যা শক্তি তাতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে তাদের কোনও মতেই বাধ্য করা যাবে না। | ভারতে পাঁচশো ও হাজার রুপির নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পনেরো দিনের মাথায় এসে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন চীনকে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার সমশক্তির কাতারে নিয়ে যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমস্যা আর সমুদ্র সীমা নিয়ে ভৌগলিক দ্বন্দ্বের কারণে নব্বুই দশকের শুরু থেকেই দেশটির সামরিক বাহিনী, পিপলস'স লিবারেশন আর্মিকে আধুনিক করে তৈরির করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শী জিনপিংয়ের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সামরিক ক্ষমতার পার্থক্য দ্রুত কমে আসছে এবং দেশটি দ্রুত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর একটি হয়ে উঠছে। ''চীনের দুই সংখ্যার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রতি কমে এসেছে, কিন্তু দেশটি সামরিক শক্তিকে আধুনিকায়ন করার পাঁচ বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যেতে তারা এখনো সক্ষম''- যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিরক্ষা সংস্থার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। '' প্রযুক্তির নানা ধরণের ব্যবহার দেশটির সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক কিছু অস্ত্র সম্ভারের মালিক করে তুলছে। অনেকগুলো ক্ষেত্রে দেশটি এর মধ্যেই বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছে গেছে।'' আরো পড়ুন: মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণ চীনে? দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সামরিক সংঘাত? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? এখানে চীনের সবচেয়ে আধুনিক কিছু অস্ত্রের বিবরণ তুলে ধরা হলো, যেগুলো বর্তমান অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে চলেছে। ১. নৌবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র নিজস্ব যুদ্ধজাহাজগুলোয় নিজেদের তৈরি অস্ত্র সজ্জিত করছে চীন ২০১৮ সালে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবি থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চীন হয়তো এমন যুদ্ধজাহাজে স্থাপন করার উপযোগী এমন অস্ত্র তৈরি করেছে যেটি শব্দের পাঁচগুণ গতিতে (হাইপারসনিক স্পিড) গুলি ছুড়তে পারে। অনেকদিন ধরেই বিশ্বের অনেক দেশ এমন অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। 'রেলগান' নামের এই অস্ত্রটি সেকেন্ড আড়াই কিলোমিটার গতিতে গুলি ছুড়তে পারে, যেগুলো দুইশও কিলোমিটার দূরের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। গত জুন মাসে সিএনবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই অস্ত্রটি ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। যখন এ ধরণের অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া, এমনকি ইরানেরও এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তখন হয়তো প্রথম দেশ হিসাবে চীনই তাদের যুদ্ধজাহাজে অস্ত্রটি সংযোজন করবে। ২০১২ সাল থেকেই সাগরে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ওই ছবি-যেটি বিবিসি নিজে যাচাই করে দেখতে পারেনি- দেখা যাচ্ছে যে অস্ত্রটি সাগরে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের তথ্য মতে, চীনে তৈরি প্রথম ১০হাজার টন ক্লাস মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ০৫৫-এ ওই অস্ত্রটি প্রথম স্থাপন করা হবে। সামরিক বিশ্লেষক এবং সাবেক পিএলএ সদস্য সঙ জংপিং সাউথ চায়না মনিং পোস্টকে বলেছেন, ''যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তির সমকক্ষ হয়ে ওঠার জন্য চীন কোন চেষ্টাই বাদ রাখেনি। বরং ওই ছবি দেখে মনে করা যায়, যে, চীন জাহাজে বসানো রেলগানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু যে ধরেই ফেলেছে তা নয়, বরং আগামী পাঁচ দশ বছরের মধ্যে হয়তো ছাড়িয়েও যাবে। এর কারণ, বাজেট অনুমোদন পেতেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সময় চলে যায়, যখন চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এরকম প্রকল্পে সহজেই অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ হয়ে যায়।'' ২. হাইপারসনিক অস্ত্র রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করছে চীনও সাউথ চায়না মনিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অগাস্টে চীন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা এমন একটি হাইপারসনিক বিমান পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যেটি বিশ্বের যেকোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম। এটি এমন একটি 'ওয়েভ রাইডার' বিমান যেটি, যেটি নিজের তৈরি করা শব্দের ধাক্কা ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলে দ্রুত গতিতে ভেসে বেড়াতে পারে। পরীক্ষায় জিংকং-২ (আকাশের আতংক-২) নামের চীনের ওয়েভ রাইডার বিমানটি ৩২০ কিলোমিটার উঁচুতে উঠে ঘণ্টায় ৭.৩৪৪ কিলোমিটার গতিতে ভেসে বেড়ায়। তবে এই বিমানটি চীনের প্রথম হাইপারসনিক বিমান নয়-২০১৪ সাল থেকেই দেশটি বায়ুমণ্ডলে ভেসে থাকা বিমান পরীক্ষা করে যাচ্ছে-কিন্তু এই প্রথমবার তারা এমন একটি বিমান তৈরি করেছে যেটি ওয়েভ রাইডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাউথ চায়না মনিং পোস্টের তথ্য মতে, যখন পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে, তখন এই ওয়েভ রাইডারগুলো বোমা নিয়ে বর্তমান বিশ্বের যেকোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে যেতে পারবে। তবে বেইজিংয়ের সামরিক বিশ্লেষক যোউ চেনমিং ওই পত্রিকাকে বলেছেন যে, চীনের ওয়েভ রাইডারগুলো সম্ভবত পারমাণবিক অস্ত্রের বদলে প্রচলিত বোমাগুলো বহনে ব্যবহৃত হবে। তিনি বলেছেন, ''আমার মতে, এই প্রযুক্তি বোমা বহনে সক্ষম হয়ে উঠতে এখনো তিন থেকে পাঁচবছর সময় লাগবে।'' হ্যারি হ্যারিস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আধুনিক অস্ত্রের পেছনে আরো বিনিয়োগ করা, যাতে পিছিয়ে থাকতে না হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস মার্কিন কংগ্রেসে বলেছেন, হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, এমনটাও হতে পারে যে, চীন মিসাইল ছুড়েছে এবং আমেরিকার রাডার সেগুলো সনাক্ত করার আগেই মার্কিন জাহাজ বা ভূখণ্ডে তা আঘাত করেছে। ''আমাদের উচিত নিজস্ব হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরিতে উঠেপড়ে কাজ শুরু করা'' তিনি মন্তব্য করেন। ২০১৭ সালে হাইপারসনিক মিসাইল - ডিএফ-১৭ তৈরির ঘোষণা দেয় চীন, যেটি ১৮০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। ৩. চীনের ' সব বোমার মা' যুক্তরাষ্ট্রের 'সব বোমার মা'য়ের মতো চীনেরও একই ধরণের বোমা রয়েছে গত মাসে নতুন ধরণের একটি বিশাল বোমার প্রদর্শন করেছে চীন, যাকে বলা হচ্ছে চীনের 'সব বোমার মা'। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স এয়ার ব্লাস্টের মতো যেটিকে বর্ণনা করা হচ্ছে। প্রচারণা ভিডিওতে চীনের অস্ত্র তৈরির প্রধান কোম্পানি নোরিনকো দেখিয়েছে, এইচ-সিকে বোমারু বিমান থেকে বোমাটি ফেলা হচ্ছে এবং বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটছে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বলছে, ওই বোমাটি হচ্ছে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের বাইরে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা এবং এটি এতো বড় যে, একটি এইচ-৬কে বোমারু বিমান একেকবারে মাত্র একটি বোমাই বহন করতে পারে। বেইজিংয়ের সামরিক বিশ্লেষক ওয়েই ডংজু গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, তুলনা করা হলেও, চীনের বোমাটি আমেরিকান এ ধরণের বোমার তুলনায় খানিকটা ছোট। তিনি ধারণা করেন, চীনের বোমাটি প্রায় পাঁচ ছয় মিটার লম্বা- অথচ আমেরিকান বোমাটি প্রায় ১০ মিটার লম্বা এবং হালকা, যার ফলে সেটি বহন করা সহজ। ওয়েই বলছেন, ''এই বিশাল বোমার বিস্ফোরণে বিশাল ভবন, ঘাটি বা প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।'' ২০১৭ আফগানিস্তানের ইসলামিক স্টেটের গুহাগুলোর ওপর এ ধরণের একটি বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ারও এ ধরণের বোমা রয়েছে- যাকে বলা হয় 'সব বোমার বাবা''। এটা আমেরিকান বোমাটি চেয়ে আকারে বড় এবং যখন ফেলা হয়, তখন শক ওয়েভের বদলে আগুনের কুণ্ড তৈরি করে। । | চীন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া, এই তিনটি দেশই বর্তমান বিশ্বে এক অস্ত্র প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে ইসলামপন্থী জঙ্গি গ্রুপ আল-শাবাব ওই হামলা দায় স্বীকার করেছিল। হামলার আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেকে সেই হামলার ভীতি বহন করছেন। ওই বোমা হামলার জীবিতদের একজন ব্রেন্ডা নানইয়োনজো। তিনি বলেছেন, ''আমার চেয়ারের পাশেই রক্ত দেখতে পাই, আমার বাম দিকে। আমি মনে করেছিলাম এটা অন্য কারো, কিন্তু আমি জানতাম না, আসলে সেটি আমারই রক্ত। এরপরই লক্ষ্য করি, মানুষের শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ আমার চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি তখন শুধু নিজের শরীর থেকে সেগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করছিলাম।'' একটি রাগবি ক্লাব আর ইথিওপিয়ান রেস্তোঁরায় সোমালি জঙ্গি গ্রুপ আল শাবাবেব ওই হামলায় অসংখ্য মানুষ নিহত হন। উগান্ডা আর ইথিওপিয়া যৌথভাবে সোমালিয়ায় জঙ্গিবিরোধী যে অভিযান পরিচালনা করছিল, তার জবাব দিতেই তাদের ওই হামলা। আর তখন বেশিরভাগ মানুষ ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা উপভোগ করছিল। বোমা হামলার ওই ঘটনা ব্রেন্ডাকে আরো দৃঢ় সংকল্প করে তুলেছে। এখন তিনি মিস উগান্ডা সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেও শুরু করেছেন। কিন্তু তিনি স্বীকার করেন, পুরো ঘটনাটি এখনো তাকে আতংকিত করে তোলে। তিনি বলছেন, ''কোথাও বড় ভিড় থাকলে আমি সেখানে যেতে বা ঠিকভাবে আনন্দ করতে পারি না। এটা আমার জন্য একটি বড় সমস্যা। আমি জানি না, এটা আমি কখনো কাটিয়ে উঠতে পারবো কিনা।'' দেশটির বেশিরভাগ মানুষের এখনও সংশয় আছে যে, এরকম বড় হামলা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুত কিনা। উগান্ডায় ফুটবল দশর্কদের ওপর জোড়া বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে উগান্ডার নাগরিক ইসা আহমেদ লুয়িমা ফুটবল ভক্ত ৭০ বছরের রোমান কানয়োরো বলছেন, ''২০১০ সালের আগে, এরকম সব এলাকা যেন ফুটবলের গ্যালারি হয়ে যেত, সবাই এসে খেলা দেখত। কিন্তু এখন আপনি যেখানেই যান, যদি ট্যাক্সি খুঁজতে যান, কাউকে দেখতে পাবেন না। সবাই খেলা দেখতে বাড়িতে চলে গেছে।'' পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমিলিয়ান কায়িমা বলছেন, ওই বোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাদের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়েছে। তিনি উগান্ডার নাগরিকদের প্রতিও অনুরোধ করেন যে, যেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করেন। মিস্টার কায়িমা বলেছেন, ''আমি অনুরোধ করি, যাতে পুলিশের মতো স্থানীয় বাসিন্দারাও সতর্ক থাকে। যেকোনো সমাবেশেই, সেটা ধর্মীয় সমাবেশ হলেও সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে। যদি সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আগে পদক্ষেপ নিতে পারবো। ফলে এ ধরণের ঘটনা এড়ানো যাবে।'' আল শাবাবের নতুন কোন হামলা ঠেকানো শুধুমাত্র উগান্ডানদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের পশ্চিমা মিত্র, যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এই মহাদেশে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তারাও বেশি মরিয়া। তবে এতকিছু সত্ত্বেও ব্রেন্ডার মতো অনেকে এখনো ফুটবল ভালোবাসে। তিনি তার তিন বছরের মেয়ে, যারাকেও ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। ফুটবল নিয়ে মেয়ের আনন্দের যেন সীমা নেই। | বিশ্বকাপ ফুটবল সবার জন্যই বড় উৎসবের সময়, কিন্তু উগান্ডায় সেটি যেন এক দুঃস্বপ্নের স্মৃতিচারণ। ২০১০ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখার সময় এক বোমা হামলায় ৭০জন নিহত হন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইসলামিক স্টেটের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল বহু দেশের মানুষ পুজা মেহতা, যিনি জি নিউজের সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধ বিষয়ক একজন সংবাদদাতা, তার পোস্ট করা টুইটে বলা হয়েছে, আইএস বা আইসিস-পন্থী একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বাংলাদেশে সংগঠনের নতুন আমীর নিয়োগের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। পুজা মেহতার টুইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের নতুন আমীরের নাম 'আবুল আব্বাস আল বাঙ্গালি।' কিন্তু আন্তর্জাতিক জিহাদি সংগঠনগুলোর তৎপরতার খোঁজ-খবর রাখেন এমন বিশেষজ্ঞরা এই দাবির ব্যাপারে গুরুতর সংশয় প্রকাশ করছেন। সুইডেনে অবস্থানরত বাংলাদেশি লেখক এবং সাংবাদিক তাসনীম খলিল বলছেন, এ নিয়ে গত কয়েক বছরে এমন তিন জনের নাম শোনা গেল, যাদেরকে বাংলাদেশে আইসিস এর নতুন প্রধান বলে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু এসব দাবির কোনটিরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে আইসিস নিজেই বিবৃতি দিয়ে এই দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাসনীম খলিল: "ইসলামিক স্টেটের আমীর নিয়োগের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নেই" এই দাবি নিয়ে কেন সংশয়? তাসনীম খলিল বলছেন, ভারতীয় সাংবাদিক পুজা মেহতার টুইটে যে দাবি করা হয়েছে, তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাসনীম খলিল বলেন, "আইসিসের অফিশিয়াল কিছু টেলিগ্রাম চ্যানেল আগে ছিল। আইসিসের মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট যারা চালাতো, তারা এগুলো পরিচালনা করতো। আমিও সেই চ্যানেলগুলোতে সাবস্ক্রাইব করতাম।" তাঁর মতে, বাংলাদেশের ব্যাপারে খবর দেয়ার যে অফিশিয়াল চ্যানেলগুলো আইসিসের ছিল, সেগুলো এখন আর নেই। কাজেই এই টুইটে প্রো-আইসিস বাংলাদেশ টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাতে যা বলা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর। "আর আইসিসের এখনো যে গুটিকয়েক চ্যানেল আছে, সেগুলোতে কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত এ ধরণের কোন খবর দেখিনি যে তারা নতুন কোন আমীর বাংলাদেশে নিয়োগ করেছে।" তাসনীম খলিলের মতে, বাংলাদেশে আইসিসের সাংগঠনিক অবস্থান এখন নেই বললেই চলে। কাজেই যে সংগঠনই নেই, সেই সংগঠনের আমীর নিযুক্ত করার বিষয়টি একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। "আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আইসিসের আমির নিযুক্ত করারও কয়েকটা প্রক্রিয়া আছে। যে কেউ হঠাৎ করে টুইটারে বলে দিলেই কিন্তু নতুন আমীর নিযুক্ত হয়ে যায় না।" বাগদাদীর মৃত্যুর পর ইসলামিক স্টেটের সংগঠন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে "এই জন্য সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি এই দাবিটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, হাস্যকরও বটে।" তাসনীম খলিল বলেন, যেহেতু আইসিসের নিজস্ব যোগাযোগের চ্যানেলগুলোও এখন নেই, তাই এরকম কোন দাবির সত্যতা যাচাই করার সুযোগও নেই। ছদ্মনাম নিয়ে প্রশ্ন তাসনীম খলিল বাংলাদেশে আইসিসের কথিত নতুন আমীরের ছদ্মনাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, পুজা মেহতার এই টুইটে বেশ কিছু ভুল আছে। এতে নতুন আইসিস আমীরের নাম 'আবুল আব্বাস আল বাঙ্গালি' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আইএস সাধারণত তাদের নেতা বা যোদ্ধাদের যে নাম প্রকাশ্যে প্রচার করে, সেটি আসলে ছদ্মনাম, বা তাদের ভাষায়, কুনিয়া। আইএসের এর কুনিয়া সাধারণত এরকম হয় না। এই কুনিয়ার দুটি অংশ থাকে। একটি অংশে মূলত পারিবারিক সম্পর্কের ইঙ্গিত থাকে, আরেকটিতে থাকে তিনি কোন দেশ বা কোন অঞ্চলের মানুষ, সেটির ইঙ্গিত। তাসনীম খলিল বলেন, 'আবুল আব্বাস আল বাঙ্গালি' নামটি যদি আইএসের দেয়া নাম হতো, এটি আসলে হতো 'আবু আব্বাস আল বাঙ্গালী। আবু আব্বাস মানে আব্বাসের পিতা, আর আল-বাঙ্গালি মানে বাংলাদেশি বা বাংলাদেশের মানুষ। ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশে আইসিসের প্রথম ঘোষিত আমীর ছিলেন সাইফুল্লাহ ওজাকি, যার কুনিয়া বা ছদ্মনাম ছিল আবু ইব্রাহীম আল হানিফ। সাইফুল্লাহ ওজাকির একটি ছোট ছেলে ছিল, যার নাম ছিল ইব্রাহীম। তার ভিত্তিতেই এই কুনিয়া। বাংলাদেশে আইসিসের নেতৃত্ব বাংলাদেশে আইএসের এখনো পর্যন্ত স্বীকৃত আমির একজনই ছিল, তার নাম ছিল আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। তার প্রকৃত নাম ছিল সাজিথ দেবনাথ। ধর্মান্তরিত হয়ে জাপানে অবস্থানকালে তার নতুন নাম হয় সাইফুল্লাহ ওজাকি। তাকেই বাংলাদেশের গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হয়। ২০১৯ এর মে মাসে খবর আসে যে ইরাকে কুর্দি বাহিনীর হাতে সাইফুল্লাহ ওজাকি ধরা পড়েছেন। তাসনীম খলিল জানান, ওজাকির পর বাংলাদেশে আরও দুজন আইসিসের আমীর হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। এদের একজনের নাম বলা হয়েছিল আবু শফিক আল বাঙ্গালি (২০১৭) । অপরজনের নাম আবু মুহাম্মদ আল বাঙ্গালি। কিন্তু পরে এই দুটি দাবিরই কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। "বাকিয়া মিডিয়া স্ট্রাইক' নামে বাংলাদেশে আইসিসের যে কমিউনিকেশন চ্যানেল ছিল, তারা নিজেরাই এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, এগুলো আইসিসের শত্রু এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করা 'গুপ্তচরদের' প্রচারণা। ইরাকে এবং সিরিয়ায় অনেক ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে নাকি সাইফুল্লাহ ওযাকিও আছে। 'হানিপট অপারেশন' আইসিসের নতুন আমীর নিয়োগের এরকম দাবি যদি ভুয়া হয়ে থাকে, সেই প্রচারণার উদ্দেশ্য কী হতে পারে? তাসনীম খলিল বলেন, বিভিন্ন দেশে যেসব নিরাপত্তা বাহিনী বা গুপ্ত সংস্থা 'কাউন্টার টেররিজম' কাজে যুক্ত, তারা নিজেরাই অনেক সময় ছদ্ম প্রচারণা চালিয়ে সম্ভাব্য জঙ্গিদের ফাঁদে আটকানোর চেষ্টা করে। এধরণের তৎপরতাকে বলা হয় হানিপট অপারেশন, অর্থাৎ মধুর লোভ দেখিয়ে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা। বিভিন্ন নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সাইবার সেলগুলো এরকম তৎপরতা চালিয়ে থাকে। এটা সেরকম কোন অপারেশনের অংশ হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। বাংলাদেশে আইসিসের তৎপরতা সম্পর্কে যে অনেক মিথ্যে প্রচারণা চালানো হয়, তার একটি সাম্প্রতিক উদাহারণ তুলে ধরেন তিনি। "সম্প্রতি বাংলাদেশে খবর বেরিয়েছিল যে, ঢাকার এক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় যুক্ত থাকার দাবি করেছে আইসিস। সাইট ইন্টেলিজেন্স থেকে অনেকেই এই খবরটি প্রচার করলো। অথচ এই ফাঁড়িতে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যে আইসিসের কোন সম্পর্ক ছিল না, সেটা বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিজম পুলিশের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। মূলত পুলিশের চক্রান্তটি ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর আইসিসের এই মিথ্যে দাবি ছড়ানো হয়।" | বাংলাদেশে আবারও কথিত ইসলামিক স্টেটের একজন নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে বলে একটি খবর বেরিয়েছে। ভারতের জি নিউজে কাজ করেন এমন একজন সাংবাদিক একটি টুইটে এই খবরটি দিয়েছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে, প্রায় ২০ শতাংশ ভারতীয় নিরামিষভোজী সবচেয়ে বড় ধারনাটি হলো ভারতের অধিকাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। কিন্তু সেটি মোটেও ঠিক নয়। অতীতের বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ভারতের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নিরামিষভোজী। সরকারের পরিচালিত তিনটি জরীপে দেখা যায় ২৩ থেকে ২৭ শতাংশ ভারতীয় নিরামিষ ভোজী।এ পরিসংখ্যান একেবারে নতুন কিছু নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক বালমুরলি নটরাজন এবং ভারত-ভিত্তিক অর্থনীতিবিদ সুরাজ জ্যাকব সরকারের এ পরিসংখ্যানকে সঠিক বলে মনে করেন না। তাঁদের ধারণা এ পরিসংখ্যানে নিরামিষভোজী মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এর পেছনে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয় জড়িত আছে বলে তারা মনে করেন। সে হিসেবে ধরে নেয়া যায়, ভারতে মাংস খাওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হয় এবং নিরামিষভোজী মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা নিয়ে গবেষকরা বলছেন, ভারতে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। সাধারণভাবে যা ধারণা করা হয়, এ সংখ্যা তার চেয়ে অনেক কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু এবং তারাই সবচেয়ে বড় মাংসভোজী। এমনকি উচ্চবর্ণের হিন্দুদের এক-তৃতীয়াংশ নিরামিষভোজী। অধিকাংশ ভারতীয় মাংস খায় ভারতের যেসব শহরে সবচেয়ে বেশি নিরামিষভোজী রয়েছেন সেটি নিম্নরূপ ইন্দোর: ৪৯% মিরাট: ৩৬% দিল্লি: ৩০% নাগপুর: ২২% মুম্বাই: ১৮% হায়দ্রাবাদ: ১১% চেন্নাই: ৬% কলকাতা: ৪% সূত্র: ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে কিন্তু গবেষক নটরাজন এবং জ্যাকব বলছেন, সাধারণভাবে যা ধারণা করা হয়, গরুর মাংসভোজী মানুষ সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, কমপক্ষে ৭ শতাংশ ভারতীয় গরুর মাংস খায়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশটিতে নিরামিষ খাওয়াকে উৎসাহিত করছে। কারণ এর মাধ্যমে গরু রক্ষা করতে তারা। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে গরু ধর্মীয়ভাবে একটি পবিত্র বিষয়। ভারতে অর্ধেকের বেশি প্রদেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ। গো-রক্ষাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ১৮ কোটি ভারতীয় গরুর মাংস খায় কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় - দলিত, মুসলিম এবং খ্রিস্টান গরুর মাংস খায়। গবেষক ড: নটরাজন এবং ড: জ্যাকব বলেন, বাস্তবে প্রায় ১৫ শতাংশ ভারতীয় অর্থাৎ ১৮ কোটি মানুষ সেখানে গরুর মাংস খায়। সরকার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরে এটি তার চেয়ে ৯৬ শতাংশ বেশি। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভারতীয় মাংস খায়। সেটি হতে পারে মুরগী কিংবা খাসির মাংস। এটা অনেকেই নিয়মিত খায়, আবার অনেকে মাঝে মধ্যে খায়। তবে অধিকাংশ ভারতীয় নিরামিষভোজী নয়। | ভারতীয়দের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে গল্প কিংবা ধারণা প্রচলিত আছে, সেটি কোনটি? |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | হিরোইন, ফেন্সিডিল হটিয়ে এখন জায়গা করে নিয়েছে ইয়ারার মতো মাদক এর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করা বা এ কাজে সহযোগিতা কতটা দণ্ডনীয় অপরাধ, কতজন শাস্তি পাচ্ছে, কতগুলো মামলা বিচারাধীন আছে, এসব তথ্য জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা হবে। কিন্তুই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, বাংলাদেশে এখন পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবার মতো মাদক। মাদক নির্মূল অভিযানের পরও ইয়াবা কতটা সহজলভ্য? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক একজন মাদকসেবী বলছিলেন, ''ঢাকায় এখন সর্বত্রই মাদক, বিশেষ করে ইয়াবা পাওয়া যায়। এক সময় এটি বিশেষ বিশেষ স্পটে পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সব এলাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। গ্রামে গঞ্জেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে।" তার সঙ্গে যখন টেলিফোনে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ঢাকার একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি ইয়াবা খেতেন। তবে তিনমাস নিরাময় কেন্দ্রে থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনি বলছেন, ''এ জন্য এমনকি আপনার যাওয়ারও দরকার নেই। এখন টেলিফোন করলেই আপনার কাছে এসে ইয়াবা দিয়ে যাবে। এখন এটা ঘরে থেকে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। '' তার অভিযোগ, ''একসময় ফেন্সিডিল, হিরোইনের মতো মাদক বেশি থাকলেও, এখন তার জায়গা দখল করেছে ইয়াবা। কারণ এটি সহজেই বহন করা যায়।'' ঢাকায় নেশাখোরদের এক আড্ডা। আরও দেখুন: শ্রীদেবীর শব গ্রহণকারী কে এই আশরাফ থামারাসারি? হিজাব খোলার দায়ে ৬০,০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিবিসি বাংলার দু'টি রেডিও অনুষ্ঠান ''কারণ এখন অনেকে পাড়া মহল্লায় ইয়াবার ব্যবসা করছে। যারা নেশা করে, তারাও টাকার জন্য যেমন নেশার পাশাপাশি বিক্রিতে নেমে পড়েছে, তেমনি অনেকে শুধুমাত্র বেচাবিক্রি করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুব একটা কিছু বলে না।'' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তির অভিযোগ, ''এমনটি প্রশাসনের লোকজন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের লোকজনও এর সাথে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে, না হলে এত সহজে সবার সামনে ইয়াবা বিক্রি হয়, সবাই জানে কে বিক্রি করছে, কিন্তু বিক্রেতাদের কেউ ধরে না। কারণ এদের ব্যবসার ভাগ চলে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের পকেটেও। আবার কেউ কিনলে হয়তো তাকে আটকে টাকা আদায় করা হয়।'' তার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তার পিতা এ সময় সঙ্গেই ছিলেন। তিনি জানালেন, ছেলে মাদকাসক্ত হয়েছে টের পাওয়ার পর থেকেই তারা ভোগান্তির ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ''পিতার কাছে সবচেয়ে কষ্টের হচ্ছে তার কাঁধে ছেলের মৃতদেহ। কিন্তু ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে সেই কষ্ট মনে হয় তার চেয়েও বেশি।'' মিয়ানমার থেকে আসছে, বেকার যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, মিয়ানমার থেকেই ইয়াবা বাংলাদেশে আসে, কিন্তু সেই দেশটির সরকার এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় সরকারিভাবে কয়েকটি নিরাময় কেন্দ্র থাকলেও, বেসরকারিভাবে অনেক ক্লিনিক তৈরি হয়েছে। অনেকেই এখন এসব ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মুক্তি ক্লিনিক নামের একটি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক ড. আলী আশকার কোরেশী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''একসময় আমাদের এখানে হিরোইন বা ফেন্সিডিল আসক্তরাই চিকিৎসা নিতে বেশী আসতো। কিন্তু এখন আমাদের এখানে যেসব রোগী আসে, তাদের বেশিরভাগই তরুণ আর প্রায় সবাই ইয়াবা আসক্ত। সুস্থ হতে অন্তত তিনমাসের চিকিৎসার পরেও, দীর্ঘদিন তাদের নজরদারিতে থাকতে হয়।'' বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১১ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৩৯৫টি, আসামি ছিল ৪৭ হাজার ৪০৩ জন। ২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা ১ লাখ ছয় হাজার ৫৩৬ জন, আসামি এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন। তারা বলছেন, ইয়াবা পরিবহনে সুবিধাজনক, দামও কম আর মিয়ানমার থেকে প্রচুর যোগান আসছে, এসব কারণে এই মাদকটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ, র্যাব অভিযান চালালেও, এটি দমনে সরকারের বিশেষায়িত একটি সংস্থাও রয়েছে। নেশার কবলে ঝড়ে পড়ছে অনেক সুস্থ প্রাণ। দেশজুড়ে মাদকের এই বিস্তার স্বীকার করে নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তৌফিক আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''এটা ঠিক, এখন ইয়াবা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে এটি আসছে আর লাভের আশায় অনেক বেকার যুবকরা এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।'' তবে মাদকদ্রব্য বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলছেন, ''সীমিত লোকবল নিয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সবসময়েই অভিযান চালাচ্ছি। অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছে, অনেক মাদক উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের মুল কারখানাগুলো ধ্বংস করতে না পারায় ইয়াবার মতো মাদক পুরোপুরি দমন করা যাচ্ছে না।'' তিনি জানান, কয়েকবার মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কথা হয়েছে, কিন্তু তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। এজন্য লোকবল বাড়ানো আর আইনে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। | বাংলাদেশে মাদক বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা ও মাদকের অপব্যবহার বিরোধী তথ্য অভিযান বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শহরাঞ্চলের বাইরে গ্রামীণ এলাকায় ডাকের নতুন সেবা পৌছাচ্ছে না এমনিতেই বাংলাদেশের ডাক বিভাগকে নিয়ে যুগ যুগ ধরেই অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সারা বিশ্বের ডাকবিভাগই নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার মাধ্যমে যেভাবে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে, সেই তুলনায় বাংলাদেশের ডাক বিভাগে পরিবর্তন এসেছে কতটা? মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার একটি গ্রাম ঘাসিপুকুরপাড়। এখানেই নিজের বাগানবাড়িতে কাজ করছিলেন মোবারক হোসেন। গ্রামে তার যে জমি-জমা রয়েছে সেগুলোও নিজেই চাষ করেন তিনি। তবে এটিই তার একমাত্র কাজ নয়। আদতে মোবারক হোসেন একজন অস্থায়ী পোস্ট মাস্টার। মুন্সিগঞ্জ সদরের ঘাসিপুকুরপাড় ইউনিয়নের ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের দায়িত্বে আছেন তিনি। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে ডাকবিভাগে কাজ করার জন্য মোবারকের সরকারি কোন অফিস নেই। নিজের বাড়িতেই ডাকের সবকাজ করেন তিনি। অফিস না থাকায় নিজ বাড়িতেই ডাকের কাজ করেন মুন্সিগঞ্জ সদরের ঘাসিপুকুরপাড় ইউনিয়নের অস্থায়ী শাখা পোস্ট মাস্টার মোবারক হোসেন কাজ বলতে অবশ্য শুধুই কালেভদ্রে আসা চিঠি এন্ট্রি করা ও প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেয়া। কারণ বছরের পর বছর এই এলাকা থেকে কেউ চিঠি পাঠায় না। ডাকের অন্য কোন সেবাও এখানে চালু হয়নি। মোবারক হোসেন বলছেন, ''মাসে খুব বেশি হলে আট থেকে দশটা চিঠি আসে। সেগুলো আমরা বিলি করি। যেসব চিঠি আসে সেগুলো মূলত: সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান, তালাক বা জমি-জমা সংক্রান্ত।'' এখান থেকে অন্য এলাকায় চিঠি কেমন পাঠানো হয় জানতে চাইলে মি. হোসেনের জবাব: ''গত সাত বছরে অন্য কোথাও পাঠানোর জন্য আমাদের ডাকঘরে কোন চিঠি আসেনি। মানুষতো আসলে এখন আর চিঠি লেখে না, পাঠায়ও না। ফলে গত তিনবছর ধরে এই ডাকঘর থেকে চিঠি পাঠানোর সার্ভিসও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ডাক টিকেট বিক্রিও বন্ধ।'' এই গ্রামেরই কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি। এখানকার ডাকঘরের কাজ ও সেবা সম্পর্কে জানতে চাই তাদের কাছে। এদের মধ্যে ফাহমিদা নামে একজন জানালেন, মোবাইল ফোন থাকায় এখন আর চিঠির প্রয়োজন হয় না। চিঠি আদান-প্রদান ছাড়া ডাকঘরের আর কী কাজ সে সম্পর্কেও জানা নেই তার। প্রাপকের কাছে চিঠি পৌঁছে দেয়ার কাজ করছেন একজন ডাকপিয়ন। ডাকঘরের কী অবস্থা? ডাক বিভাগের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সারাদেশে তাদের যে প্রায় ৯ হাজার পোস্ট অফিস রয়েছে সেগুলোর মধ্যে মোবারক হোসেনের ঘাসিপুকুরপাড়ের মতো অবিভাগীয় শাখা পোস্ট অফিসের সংখ্যাই ৮ হাজারেরও বেশি। অনেকক্ষেত্রেই এগুলোর নিজস্ব জমি কিংবা স্থায়ী অফিস নেই। সেবা বলতে শুধু চিঠি আদান-প্রদান। যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে ডাকবিভাগের কার্যক্রমের আওতায় সঞ্চয়পত্র বিক্রয়, ইলেক্ট্রনিক মানি অর্ডার, জীবন বীমাসহ অনলাইনভিত্তিক আরো অন্তত: ১০টি খাতের কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এসব সেবা গ্রাম পর্যায়ে আট হাজারের মতো শাখা পোস্ট অফিসগুলোতে পাওয়া যায় না। এসব সেবা মূলত: জোল ও উপজেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলোতে পাওয়া যায়। এর সংখ্যা প্রায় এক হাজার। কিন্তু এসব সেবা পেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। ডাকের সব সেবা সবখানে পৌছায় নি। মুন্সিগঞ্জের জেলা পোস্ট অফিসে কথা হয় এরকমই এক নারীর সঙ্গে। যিনি পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখেন। ''এখানে টাকা আদান-প্রদানের সময় দেখা যায় টাকা জমার কোন মেশিন নেই। নাম এন্ট্রিসহ সব কাজ হাতে হাতে হয়। সময় লাগে অনেক। দেখা যায় দশ মিনিটের কাজের জন্য দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।'' এদিকে যারা গ্রামে গঞ্জে পোস্ট অফিসে কাজ করছেন তাদের পারিশ্রমিক নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। সারাদেশে ৩৯ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ২২ হাজারই সরকার থেকে কোন বেতন পান না। তবে ন্যুনতম একটা সম্মানী দেয়া হয়। পোস্ট মাস্টার, ডাকপিয়ন এবং ডেলিভারি ম্যানের জন্য এই সম্মানি দুই হাজার তিনশো থেকে দুই হাজার পাঁচশো টাকার মধ্যে। ডাক বিভাগ কী বলছে? ডাক বিভাগ বলছে, গ্রাম পর্যায়ে আট হাজারের মতো যেসব পোস্ট অফিস রয়েছে সেগুলো স্থানীয় ব্যক্তিদের আগ্রহে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন দেয়ার সময়ই বলা হয়েছে যে তারা বেতনের আওতায় থাকবেন না। তাদেরকে কিছু সম্মানী দেয়া হবে। ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল ডাক বিভাগের মাহপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল বলছেন, ''এটা তো দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। স্থানীয় মানুষেরা আগ্রহী বলেই অতীতে পোস্ট অফিসগুলো চালু হয়েছে। সেখানে বেতন দিতে হবে এরকম কোন শর্ত ছিলো না। এবং আমরা সেরকম লোকদেরই নিয়োগ দিয়েছি যারা তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল। তবে এখন অনেক অস্বচ্ছল লোক কাজ করছেন বলেই বেতনের প্রসঙ্গ উঠছে। আমরা এসব বিবেচনা করছি। আমাদের সক্ষমতারও ব্যাপার আছে এখানে।'' মি. মন্ডল জানান, সারাদেশে ধাপে ধাপে এসব পোস্ট অফিসের জন্য নিজস্ব জমিতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করা হচ্ছে। ''আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়েছি। এর আওতায় কোন কোন পোস্ট অফিস নির্মাণের কাজ হচ্ছে। বাকীগুলোও ধাপে ধাপে হয়ে যাবে। পোস্ট অফিসের অবকাঠামো তৈরি হলেই সেখানে আমরা ডাকের অন্যান্য সেবাগুলো চালু করতে পারবো। অনলাইন সার্ভিসও চালু হবে।'' নতুন কী সেবা? ডাক বিভাগের মহাপরিচালক বলছেন, বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন পন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য ডেলিভারির কাজটি ডাকবিভাগ করতে চায়। এর জন্য ই-কমার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। তিনি জানান, এছাড়াও বিকাশ-রকেটের মতো ২৪ ঘণ্টা অর্থ লেনদেনের একটা সার্ভিসও চালু করা হবে। আরো পড়ুন: প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধনকুবের বাবা? অচেনা জায়গাকে চেনা মনে হয় যে কারণে | প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশেও চিঠি লেখার চল প্রায় উঠেই গেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ভারতে 'স্ট্যান্ড অ্যান্ড পি' ক্যাম্পেনে অংশ নেওয়া কয়েকজন নারী কিন্তু রাস্তাঘাটে নোংরা শৌচাগারেও এই শস্তা, সহজ পদ্ধতিটাই মেয়েদের দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগে বিরাট সাহায্য করবে বলে বলা হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক টয়লেট দিবসে ভারতে লঞ্চ করা হয়েছে এই অভিনব প্রোডাক্ট, যেটি উদ্ভাবন করেছেন দেশের অন্যতম সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দিল্লি আইআইটি-র দুজন ছাত্র, অর্চিত আগরওয়াল ও হ্যারি শেহরাওয়াত। দেশের সেরা চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান এইমস-ও এটিকে পরীক্ষা করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ বলে রায় দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য খাতের গবেষকরাও বলছেন, স্যানফে জনপ্রিয়তা পেলে ভারতে রাস্তাঘাটে মেয়েদের শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাসটাই আমূল বদলে যেতে পারে। পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট কি বন্ধ করা সম্ভব? পুরুষদের দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন যে নারী সাপের বিষ শরীরে নিয়ে ডায়েরি লিখে গেছেন যিনি স্যানফে-র একিট নমুনা বা স্যাম্পল কিন্তু এই জিনিসটা কাজ করবে কীভাবে? স্যানফে যারা তৈরি করেছেন, তাদের অন্যতম অর্চিত আগরওয়ালের জবাব, "খুব সহজ। আসলে মেয়েদের মূত্রত্যাগ করার দরকার হলেই যে টয়লেট সিটের ওপর বসতে হয়, সেই প্রয়োজনটাই দূর করে দেবে এটা!" "ভারতে পাবলিক টয়লেটগুলোর পরিচ্ছন্নতার যে হাল তাতে বেশির ভাগ মহিলা সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন না। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই বলছে প্রতি দুজনের মধ্যে একজন মহিলা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট বা মূত্রনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত হন।" "কাজেই শৌচাগারের কোনও অংশ স্পর্শ না-করেই যাতে মহিলারা সহজে মূত্রত্যাগ করতে পারেন, তার জন্য এই 'স্ট্যান্ড অ্যান্ড পি' (দাঁড়াও ও প্রস্রাব করো) ডিভাইসটা নকশা করা হয়েছে।" "যখনই তাদের শৌচাগার ব্যবহারের দরকার পড়বে, জিনিসটা খুলে নিয়ে মহিলারা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই তাদের ফ্লো এরিয়ায় ঠিকমতো বসিয়ে নেবেন। তারপর প্রসাব করে জিনিসটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেই, ব্যাস! টয়লেটের কোনও অংশ তাদের টাচ করার দরকারই হবে না!" দিল্লি আইআইটি-র অধ্যাপক শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটরামনও এই প্রোডাক্টটির ডিজাইনিং-য়ের সঙ্গে যুক্ত, যা তৈরি হয়েছে পুরোপুরি বায়োডিগ্রেডেবেল উপাদান দিয়ে। প্রোডাক্টটির দুই উদ্ভাবক হ্যারি শেহরাওয়াত (বামে) ও অর্চিত আগরওয়াল এই প্রোডাক্টটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন এনজিও-র সাহায্যে এক লক্ষ স্যাম্পল (নমুনা) সারা দেশে মহিলাদের মধ্যে বিনা পয়সায় বিলিও করা হচ্ছে। তার আগে গত দুমাস ধরে প্রোডাক্টটির ট্রায়াল চালানো হয়েছে বিভিন্ন বয়সী মহিলাদের মধ্যে - তাদের অভিজ্ঞতাও রীতিমতো তৃপ্তিদায়ক। দিল্লির কলেজছাত্রী রিমা যেমন বলছেন, "এখন জিমে গেলে আমি সব সময় সঙ্গে স্যানফে রাখছি। এতে সুবিধাটা হল ওয়াশরুমে গেলে আমার ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণের ভয় থাকছে না। তার চেয়েও ভাল জিনিস হল, বারবার টয়লেট সিটটা মুছে নেওয়ার কষ্টও করতে হচ্ছে না।" মধ্যবয়সী গৃহবধূ নীহারিকা শর্মা আবার বলছেন, "যে কোনও পাবলিক টয়লেটে গেলেই মাথার ভেতর একটা ভয় কাজ করে না জানি আবার কী ইনফেকশনে পড়ব। এইটা ব্যবহার করার পর থেকে সেই ভয়টা অনেক দূর হয়েছে।" লাজপতনগরের রিনা শর্মাও প্রায় এক সুরেই বলছেন, ভারতে পাবলিক টয়লেটগুলো এতই নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন যে সেগুলো ব্যবহার করার কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু এই নতুন ডিভাইসটা মেয়েদের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার - কারণ এখন তারা সেই নোংরা টয়লেটও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারছেন। যেভাবে ব্যবহার করতে হবে ওই প্রোডাক্টটি কিন্তু ভারতে মেয়েদের মধ্যে কতটা জনপ্রিয় হতে পারে এই ধরনের একটি প্রোডাক্ট? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পত্রলেখা চ্যাটার্জি মনে করছেন, "প্রাইস পয়েন্টের দিক থেকে এগুলোর দাম মোটামুটি একটা স্যানিটারি প্যাডের মতোই। কাজেই সমাজে নারীদের যে অংশটা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে পারেন, ধরে নেওয়া যায় তারা অবশ্যই এটা পরখ করে দেখবেন।" "বিশেষ করে যে নারীদের রাস্তাঘাটে প্রচুর সফর করতে হয় - হাইওয়ে, এয়ারপোর্ট, শপিং মল-সহ নানা জায়গায় বারবার টয়লেট ব্যবহার করার দরকার পড়ে, তাদের মধ্যে তো এটা জনপ্রিয় হতে বাধ্য।" "ভারতে এই মহিলারা অনেকেই বহুক্ষণ ধরে প্রস্রাব চেপে রাখতে বাধ্য হন - কিংবা তাদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয় সেমি-স্কোয়াট পজিশনে। এতে কিডনিতে স্টোন তৈরি হয়, ব্লাডার মাসল দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করা যায় এই ধরনের একটা ডিভাইস সেই সমস্যাটা দূর করতে পারবে।" স্যানফে-র নির্মাতাদের আশাও ঠিক সেটাই - তাদের এই অভিনব প্রোডাক্ট ভারতে মেযেদের পাবলিট টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেই একটা বিপ্লব এনে দেবে! | প্রোডাক্টটার নাম দেওয়া হয়েছে 'স্যানফে', মানে স্যানিটেশন ফর ফিমেল। ভারতে এক-একটার দাম দশ রুপিরও কম। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিত্র তার ডেঙ্গু হয়নি, হয়েছে তার সদ্য ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণ ছেলের, যে ঢাকায় একটি হোস্টেলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করছিল। মিশু আক্তার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "ছেলের জ্বর হয়েছে শুনেই দিনাজপুর থেকে চলে এসেছি। তারপর পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গু ধরা পড়লো। তারপর থেকে, গত সাতদিন ধরে এই হাসপাতালেই রয়েছি"। এখানেই তার থাকা, খাওয়া আর ছেলের পাশে মেঝেতে ঘুমানো। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে গিয়ে অনেকগুলো খাটের ওপরে দেখা গেলো সাদা রঙের মশারি টাঙ্গানো। সেবিকা তাসলিমা জানালেন, এরা সবাই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলছেন, বিশটা বেড আছে, সবগুলোয় রোগী আছে। বুধবার দুপুরে এই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পেলাম একজনের মাথায় পানি ঢালছেন তার স্ত্রী। মিরপুর থেকে আসা সোনিয়া আক্তার বলছেন, ১৮ তারিখে তার স্বামীর জ্বর শুরু হয়। একশো চার থেকে একশো পাঁচ ডিগ্রি জ্বর। পরে জ্বর ভালো হলেও শরীরে র্যাশ দেখা যায়। এরপর তারা নিজেরাই ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ডেঙ্গু হয়েছে দেখতে পান। তারপর এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার গল্পই অনেকটা একই রকম। কয়েকদিন জ্বর, গায়ে র্যাশ ওঠা, ব্যথা। পরীক্ষা করতে গিয়ে ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে, এরপর তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর থেকে কেউ চারদিন, কেউ পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের পাশাপাশি ডেঙ্গুর শিকার হয়েছে শিশুরাও। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের সুযোগ নিয়েছে ভারতীয় জেলেরা? 'গণপিটুনিতে নিহত ৮ জনের কেউই ছেলেধরা ছিল না' গরমে সহজে ঘুমিয়ে পড়ার ১০টি উপায় রোগীতে সয়লাব হাসপাতাল দশ বছরের সুমির জ্বর পাঁচদিন ধরে। হাসপাতালে আসার পর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। এখন তার সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছে তার মা, বাবা, খালাও। বিছানায় রোগীর চারদিকে মশারি রয়েছে, তবে তাদের থাকতে হয় বিছানার পাশে মেঝেতে মাদুর পেতে। হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলছেন, ''এখন কারো একদিন জ্বর হলেই সেও ডেঙ্গু আতঙ্কে হাসপাতালে চলে আসছে। তবে আমরা কাউকে ফেরাচ্ছি না। বিছানা না থাকলেও যেভাবেই হোক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসা দিচ্ছি"। সেই চিত্র দেখা গেলো হাসপাতালের প্রবেশ মুখেই। অনেকে সেখানে ফ্লোরে বিছানা পেতে শুয়ে আছেন। সবাই জ্বরের রোগী, কারো কারো হাতে স্যালাইন লাগানো। জ্বর হওয়ার পর ডেঙ্গু আতঙ্কে তারা হাসপাতালে এসেছেন। এখানে আসার পর তাদের পরীক্ষানিরীক্ষা দেয়া হয়েছে, তবে তার ফলাফল এখনো আসেনি। তাই তারা অপেক্ষা করছেন। সাভার থেকে আসা রাবেয়া আক্তার বলছেন, ''আমার স্বামীর তিনদিন ধরে জ্বর। একদিন বমির সাথে রক্ত দেখা যাওয়ার পরে তাড়াতাড়ি এখানে নিয়ে এসেছি। ডাক্তাররা বলেছেন, টেস্টের ফলাফল দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন। মনোয়ার হোসেন বলছেন, ''আমার ভাইয়ের কিছুদিন আগে ডেঙ্গু হয়েছিল। এরপর আমার জ্বর হওয়ার আর দেরি করিনি। চলে এসেছি।'' বুধবার এই হাসপাতালে ১৩২জন রোগী ভর্তি ছিল। চিকিৎসক সানজিদা আইরিন বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ তিনগুণ বলে মনে হচ্ছে। আর এবার বর্ষা মৌসুমটা শুরুও হয়েছে একটু আগে ভাগে। ফলে আমরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকেই ডেঙ্গু রোগী পেতে শুরু করেছিলাম। "সরকারি হাসপাতালে আমরা রোগী নিতে বাধ্য থাকি। তাই চাপ হলেও, বিছানা না থাকলেও রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। তাই দেখতে পাচ্ছেন রোগীদের বারান্দাতে থাকতে দিতে হচ্ছে। আর ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি"। তিনি বলছেন, ''এবার অনেক রোগী আতঙ্কে একদিনের জ্বর নিলেও চলে আসছেন।'' অন্যান্য রোগীদের তুলনায় ৪০/৫০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তবে চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সাধারণত আমরা জ্বর হলে কয়েকদিন বাসায় বসে দেখি যে, এমনিতেই ভালো হয়ে যায় কিনা। কিন্তু এখন এই মৌসুমে সেটা করা ঠিক হবে না। বরং দ্রুত হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। না হলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তিনি বলছেন, জ্বরের সঙ্গে র্যাশ, গায়ে ব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি হলে আর দেরি না করেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলছেন, "জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৭৭৬৩জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩জন"। তাদের হিসাবে মারা গেছেন পাঁচজন। যদিও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর মৃতের সংখ্যা বলা হচ্ছে অন্তত ২৬জন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। সচেতনতা তৈরি, মশার আবাস নষ্ট করা, ওষুধ ছিটানোর মধ্যেই এসব কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার হাসপাতাল গুলোয় প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড ছাপিয়ে তাদের বারান্দাতেও আশ্রয় নিতে হচ্ছে। | দিনাজপুরের গৃহবধূ মিশু আক্তার হাসপাতালে রয়েছেন সাতদিন ধরে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | অগ্নিকাণ্ড। বুধবার বিকেলে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এই নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ ভোর ৪টার মধ্যে চিকিৎসাধীন ৮ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে মারা যান আরও চার জন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরো ১৯ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ড. সামন্তলাল সেন। মারা যাওয়া সবারই শরীরের বহিরাংশের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছিল। তার সাথে শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানান ড. সেন। আর যারা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন, তাদেরও শ্বাসনালী দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি শরীরের ৭০% থেকে ৯০% পুড়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন ড. সেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে জানান, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে। বুধবার বিকেল চারটার দিকে কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা ভেতরে কাজ করছিলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভেতর থেকে ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: বাবার 'বন্ধুরা' ধর্ষণ করতো শিশুটিকে, বাবা পেত টাকা 'আমার ছেলেমেয়েদের কাছে বাবা মানে একটা গল্প' ‘লোকে ঘেন্না করে, কল থেকে পানি নিতে দেয় না’ ব্রিটেনে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের নির্দেশ | ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দগ্ধ ১২ জন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সামাজিক কুসস্কারের কারণেঅনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টি চেপে যান। ঢাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নানা জটিলতায় ভুগলেও তিনি চিকিৎসকের কাছে তখনই গিয়েছেন যখন পরিস্থিতি গুরুতর। একদম আত্মহত্যার প্রবণতায় পৌঁছে গেছে। সমস্যার শুরুতে তিনি যেমন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেননি। তেমনি তার আশেপাশের মানুষও মনে করতেন, এমনটা সবারই হয়, মানসিক রোগ বলে কিছু নেই। তিনি বলেন, "সমস্যাটা ছিল টিন-এইজ (বয়ঃসন্ধিকাল) থেকেই। অনেক বিষণ্ণ থাকতাম, মেজাজ খিটখিটে থাকতো, সবাই মনে করতো আমি এমনই, জেদি, বদমেজাজি। আমার নিজের বা অন্য কারোই মনে হয়নি যে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যখন জীবন মরণ অবস্থা তখনই গেলাম। আগে গেলে হয়তো এতো বাজে অবস্থা হতো না।" সবশেষ ২০১৮-১৯ সালের মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১৭% বা ২ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নানা ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। এবং ১০০ জনের মধ্যে ৭ জন ভুগছেন বিষণ্ণতায়। অথচ অবাক করা বিষয় হল, এর ৯২%-ই রয়েছেন চিকিৎসার আওতার বাইরে। অন্যদিকে ১৩.৬% শিশুও মানসিক রোগে ভুগছে বলে জরিপে উঠে এসেছে, যাদের ৯৪% কোন চিকিৎসা পাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলেন যেকোনো শারীরিক রোগকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলেও মানসিক সমস্যাকে বাংলাদেশে এখনও ঠাট্টা, বিদ্রূপ বা হালকা বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। মানসিক সমস্যা প্রকট আকার না নেয়া পর্যন্ত বেশিরভাগই চিকিৎসকের কাছে আসতে চান না। তিনি বলেন, "আমাদের এখানে মানুষ তখনই ডাক্তারের কাছে আসে যখন পরিস্থিতি অনেক গুরুতর। কেউ আছেন কুসংস্কারের কারণে আসতে চান না। আবার অনেকে জানেনই না যে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।" প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। এছাড়া চিকিৎসাবিদ্যার স্নাতক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকায় অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও এ বিষয়ে জানার ঘাটতি রয়েছে বলে জানান মিস সরকার। "মানসিক রোগের অনেক শারীরিক প্রভাব আছে। সেইসব শারীরিক লক্ষণ দেখা দিলেই মানুষ ডাক্তারের কাছে যান। এই সমস্যার মূল কারণ যে মানসিক স্বাস্থ্য-এটা রোগীরা জানবেন না স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও এটা বুঝতে পারেন না। কারণ আমরা যে এমবিবিএস পাস করি সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি পড়ানো হয় না। এজন্য তারাও রোগীর মূল সমস্যা বুঝে তাকে আমাদের কাছে রেফার করতে পারেন না।" বাংলাদেশে মানসিক রোগ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আলাদা বিভাগ থাকলেও একে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান না অনেকেই। এ কারণে দেখা যায় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যাও জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই নগণ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন প্রতি দুই লাখ মানুষের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। সব মিলিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ৭শর মতো সেটাও শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন সাজেদা মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক রুবিনা জাহান। এক্ষেত্রে পেশাদার চিকিৎসক বাড়াতে সরকারের বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, "আমাদের জেলা উপজেলা পর্যায়ে কোন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নেই। যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই শহর কেন্দ্রিক। এছাড়া স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কোন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নেই। এ কারণে মানুষ প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারছে না। ফলে অনেকেই ওঝা-পীর-ফকিরদের শরণাপন্ন হচ্ছেন, নিজেদের আরও বিপদে ফেলছেন। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিধি বাড়াতে হবে। যার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।" আরো পড়ুন: 'আমার শিক্ষক আমাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচিয়েছেন' ভারতে ঘণ্টায় কেন একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছে? আত্মহত্যা করেছেন কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ছেলে সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে মানসিক সমস্যা গুরুতর হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এবং গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে চিকিৎসার সব বিভাগের পাঠ্যপুস্তকে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার কথাও জানান মি. জাহান। "মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণেই মানুষ মানসিক রোগীদের পাগল বলে, দুর্বল ভাবে, তাকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়, কাজ থেকে বের করে দেয়ারও ঘটনা আছে। এজন্য মানুষ এটা লুকিয়ে রাখতে চায়, চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। এজন্য সমাজের প্রতিটি পর্যায়ে প্রচারণা চালাতে হবে যেন মানুষ শারীরিক সমস্যার মতো, মানসিক রোগকেও স্বাভাবিকভাবে নিতে শেখে।" মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো লক্ষ্যে এ বছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ''সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য : অধিক বিনিয়োগ, অবাধ সুযোগ''। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যায় প্রাণ হারান। অথচ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার এ হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আশার খবর হল,বাংলাদেশে গত এক দশক ধরে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা অনেকটাই বেড়েছে। মানুষ চিকিৎসা নিতেও আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। | বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা জানিয়েছেন যে, কিছু বদ্ধমূল সামাজিক ধারণার কারণে এখনও অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে পেশাদার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে চান না। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশে অনেকেই করোনা উপসর্গ থেকে মুক্ত হবার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন (ছবিটি প্রতিকি) একদিন পর নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়ে দশ দিন পর রেজাল্ট পান যে তিনি পজিটিভ। এরপর একুশ দিনের মাথায় আবার নমুনা দিয়ে রেজাল্ট পান পজিটিভ। এর সাতদিন পর আবার নমুনা দিয়ে একই অর্থাৎ পজিটিভ রেজাল্ট পান তিনি। এরপর সাতদিন পর আবার নমুনা দেয়ার পর নেগেটিভ রেজাল্ট আসে অর্থাৎ করোনাভাইরাস মুক্ত হন তিনি। "১৮ই জুন জ্বর এসেছিলো আর নেগেটিভ হলাম ২৬শে জুলাই। এর মধ্যে তিন বার টেস্ট করেছি। প্রথম ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত উপসর্গগুলো ছিল। খাবারের স্বাদ ছিলো না। শুধু লুজ মোশন ৪০ দিনের পরেও ছিলো আর সাথে ছিল দুর্বলতা"। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাকে বারবার কল দেয়া হয়েছিল। তবে একুশ দিন পর তারা বলেছে আইসোলেশনে থাকার দরকার নেই। সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। তবে সাবধানে থাকবেন ও সাতদিন পর আরেকটি টেস্ট করাবেন। "আমি যৌথ পরিবারে থাকি বলে হয়তো চাপটা কম এসেছে। তবে এটি সত্যি যার রোগটি হয়নি তার পক্ষে কষ্টটা উপলব্ধি কঠিন। প্রথম দশ দিন বিপর্যস্তই ছিলাম কিন্তু এরপর ভাবলাম বাঁচতেই হবে, সন্তানদের জন্য," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। '৫৭ দিন ধরে কোভিড পজিটিভ' আবার রাজশাহীর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান নূর পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হতে সময় লেগেছে ৫৭ দিন। মিস্টার নূর বিবিসিকে জানিয়েছেন, মৃদু জ্বরে আক্রান্ত হবার পর গত ১৮ই জুন তিনি কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট পান। এরপর থেকে চারবার নমুনা পরীক্ষায় প্রতিবার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। সর্বশেষ গত ১৪ই অগাস্ট দেয়া নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে চিন্তামুক্ত হন তিনি। "দুদিন জ্বর ছাড়া আর কোনো সমস্যা ছিল না। অথচ বারবার পজিটিভ আসছিল। নিজেকে ব্যতিক্রম মনে হচ্ছিল। যদিও চেষ্টা করেছি উৎফুল্ল থাকতে। কিন্তু পরিবারকে বোঝানো কঠিন হচ্ছিল। বাবা-মা কান্নাকাটি করতো। তাদের কান্না দেখে নিজেও বিপর্যস্ত হতাম। সবাইকে ডাক্তারের রেফারেন্স দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতাম"। ঢাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস বলছেন তার করোনাভাইরাস মুক্ত হতে সময় লেগেছে ৪২দিন। "দীর্ঘ সময়ে এভাবে থাকার বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো পরিবার। শারীরিকভাবে তেমন সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু বাচ্চারা কাছে আসতে পারে না। সবসময় আলাদা থাকতে হচ্ছে এগুলো বড় চাপ তৈরি করেছিল"। তিনি বলেন, ৫ই জুলাই শনাক্তের পর মূলত ২৪শে জুলাইয়ের পর থেকে তার আর কোনো সমস্যা ছিল না। "কিন্তু রিপোর্ট পজিটিভ আসছিল। এটাই মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছিল খুব"। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় উপসর্গ না থাকার পরেও তিন চার বার পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার উদাহরণও আছে বাংলাদেশে কেন এত সময় লাগে নেগেটিভ হতে? ফারাহানা হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর ও মোহাম্মদ ইউনুস -তিনজনই বলছেন তারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিলেন চিকিৎসকের সাথে। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন যে মূলত মৃত ভাইরাসের উপস্থিতি থাকায় এ ধরনের রিপোর্ট আসছিল। ফারহানা হোসেন বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরাই বলেছেন এখানে পরীক্ষায় শরীরের জীবাণুটা থাকলেই তা ধরা পড়ে কিন্তু সেটি জীবিত নাকি মৃত সেটি নির্ধারণ করা যায় না। ফলে উপসর্গ না থাকলে তা নিয়ে চিন্তা না করতে বলো হয়েছিল তাকে। আসাদুজ্জামান নুর বলছেন, তাকে চিকিৎসকরা বলেছেন যে ৮৪দিন পর্যন্ত একই ব্যক্তির বারবার নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার নজির আছে। "আমি এগুলো দিয়েই নিজেকে বুঝিয়েছি। ভাবতাম হয়তো আমি ব্যতিক্রম। তবে মনোবল হারাতে দেইনি," বলছিলেন তিনি। একই কথা বলছেন মোহাম্মদ ইউনুস। "এভাবে এতদিন থাকার কারণে ঘুম কমে যাচ্ছিলো। ফলে আলাদা করে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছিলো। তবে ডাক্তাররা বলেছেন বারবার যে মৃত ভাইরাসের উপস্থিতির কারণে এমনটি হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে"। দীর্ঘসময় আক্রান্তদের ঝুঁকি কতটা? আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা: মুশতাক হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মূলত দশ দিনের পরে আর ভাইরাসটি জীবিত থাকে না। "কিন্তু ডেড ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকলে রিপোর্ট বারবার পজিটিভ আসতে পারে। তবে লক্ষণ না থাকলে চিকিৎসার আর দরকার হয় না। মনে রাখতে হবে। ঔষধ সেবন ছাড়া পরপর তিন জ্বর না আসলে তাকে করোনামুক্ত বলে ধরা হয়"। তিনি বলেন, লক্ষণ থাকলে অবশ্যই আইসোলেটেড থাকতে হবে এবং সাধারণত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে উপসর্গ চলে যায়। সে কারণেই বাংলাদেশে ১৪ দিনের কথা বলা হয়েছে। "এরপরেও ডেড ভাইরাস থাকে অনেকের। কেন এটি থেকে যায় সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু উপসর্গ না থাকলে কার্যত আর চিকিৎসার দরকার হয় না। তাই এটি আলাদা করে ঝুঁকি তৈরি করে তা বলা যায় না।তবে নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত সতর্ক থাকাই হবে উত্তম"। মিস্টার হোসেন বলছেন, আক্রান্ত যিনি যতদিনই হোন না কেন তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলা উচিত এবং ফলোআপ করানো দরকার যাতে করে অন্য কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নতুন ব্যবসায়ীরা প্রায় পথে বসে গেছেন, চলছে টিকে থাকার লড়াই সন্তান প্রসবে সিজারিয়ানের সংখ্যা কমলো, যে কারণে সম্ভব হল টেলিমেডিসিন সেবা নিতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে রোগীদের পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন | ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ফারহানা হোসেনের স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এসময় স্বামীকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ির এক পর্যায়ে ১৮ই জুন নিজেও জ্বরে আক্রান্ত হন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ছাড়া ছাড়াভাবে এবং আবদুল্লা খুবই আড়ষ্ট ছিলেন। তিনি ভয় পাচ্ছিলেন একজন সাংবাদিকের সাথে মেসেজ চালাচালি করতে গিয়ে তিনি যদি ধরা পড়ে যান। "আমাকে ওরা বলেছিল আজারবাইজানে যেতে হবে এবং সীমান্তের চৌকি পাহারা দিতে হবে। আমি দু'হাজার ডলার পাবো,'' তিনি বলেন। ''তখন কোন যুদ্ধ চলছিল না, আমরা কোন সামরিক প্রশিক্ষণও পাইনি।'' এই সিরীয় তরুণ জানতেন না এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে যুদ্ধে লড়াই করতে হবে, যে যুদ্ধ সম্বন্ধে তার কোন ধারণা নেই এবং যে দেশে সে কখনও যায়নি। প্রশিক্ষণ নেই, যুদ্ধ নেই সামরিক তৎপরতার সময় আজবাইজানী সৈন্যরা উত্তর সিরিয়ার অধিকাংশ বাসিন্দার মতো আবদুল্লার পরিবারও দরিদ্র এবং যুদ্ধ-ক্লান্ত। সম্প্রতি চালানো এক জরিপে ওই অঞ্চলের উত্তরদাতাদের ৮১%বলেছে তাদের ৫০ ডলারের কম মাসিক বেতনে জীবন চালাতে হয়। কাজেই আবদুল্লাকে গত সপ্তাহে যখন তার ৪০ গুণ বেশি বেতনের প্রস্তাব দিয়ে বলা হলো এর বিনিময়ে তাকে আজারবাইজান সীমান্তে গিয়ে "সেনা চৌকি পাহারা দিতে", সে তা লুফে নিয়েছিল। "তখন তো কোন যুদ্ধ চলছিল না। আমাদের উত্তর সিরিয়া থেকে হউর কেলস নামে এক গ্রামে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে বিরোধী সিরিয়ান ন্যাশানাল আর্মি আমাদের সব জিনিসপত্র নিয়ে নিলো, অর্থ, ফোন, জামাকাপড় সব। যাতে আমাদের পরিচয় কেউ ধরতে না পারে।" আবদুল্লা কিছু সময় পরে তার ফোনটা উদ্ধার করতে পেরেছিলেন। "এরপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো দক্ষিণ তুরস্কে এন্টেপ বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এক ঘন্টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে আমরা পৌঁছলাম ইস্তানবুল বিমানবন্দরে, সেখান থেকে আজেরি এয়ারলাইন্সের বিমানে আজারবাইজানে পৌঁছে আমাদের সীমান্তে একটা সেনা চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাদের কিন্তু কোনরকম সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। " আবদুল্লাকে নিয়ে যাওয়া হলো নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকায়, যে বিতর্কিত এলাকায় কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। পাহাড়ি ছিটমহলটা আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। দুই দেশ ১৯৮০-এর দশকের শেষে এবং ৯০ দশকের গোড়ায় এই এলাকার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে। হাজার হাজার মানুষ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে, প্রায় দশ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। দুই পক্ষ যদিও একটা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল, কিন্তু তারা কখনই একটা শান্তি চুক্তিতে একমত হয়নি। ফলে এলাকায় থেকে থেকেই উত্তেজনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর্মেনিয়া আজারবাইজান দ্বন্দ্ব নিয়ে আরও জানতে দেখুন : কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার দ্বন্দ্ব আরও পড়তে পারেন: 'আমরা জানতাম না শত্রু কোথায়' নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধক্ষেত্রে যাচ্ছে আর্মেনীয় সৈন্যরা রোববার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, আবদুল্লা তখন শিবিরে আছে এক সপ্তাহের মত। তার মত আরও সিরিয়ান ওই শিবিরে ছিল, সবাই সেখানে গেছে অর্থের লোভে, যুদ্ধ করতে নয়। হঠাৎ তাদের বলা হলো তাদের খুব দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে হবে। আবদুল্লা খুবই অবাক হয়েছিলেন। "ওরা আমাদের তুলল সৈন্য বহন করার ট্রাকে। আমরা আজারবাইজানী ইউনিফর্ম পরেছিলাম, আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে কালাশনিকফ রাইফেল ছিল।" তখন নাগোর্নো-কারাবাখে আবার তুমুল লড়াই শুরু হয়ে গেছে। "গাড়ি থামল যেখানে, অবাক হয়ে দেখলাম সেটা সম্মুখ রণাঙ্গন। আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে। কিন্তু আমরা এমনকী জানতাম না শত্রু কোথায়। এমন সময় বোমাবর্ষণ শুরু হলো, সবাই ভয়ে কাঁদতে শুরু করল, বাড়ি ফিরে যেতে চাইল। আমাদের ঠিক পাশেই একটা গোলা এসে পড়ল। চারজন সিরীয় মারা গেল আর তিনজন আহত হলো।" আবদুল্লা বললেন, পরের কয়েকদিনে তিনি দশজন সিরীয়র লাশ দেখেছেন। উত্তর সিরিয়ার স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে বলেছে যে, আজারবাইজানে সিরীয়দের মারা যাবার খবর দেশে তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রথম বাইরে আসতে শুরু করে। "আরও ৭০জন সিরীয় আহত হয়," বলেন আবদুল্লা, "এবং তাদের কোনরকম চিকিৎসা সেবাও দেয়া হয়নি।" বিদেশী যোদ্ধা নাগোর্নো-কারাবাখে লড়াইয়ের সময় মাটির নিচে খোঁড়া গর্তে আশ্রয় নেন স্থানীয় বাসিন্দারা আর্মেনিয়া অভিযোগ করছে চার হাজারের মত সিরীয়কে আজারবাইজানে লড়াই করতে পাঠানো হয়েছে। তবে তুরস্ক এই দাবি জোরের সাথে প্রত্যাখান করেছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, ইলহাম আলিয়েভ, বলেছেন যে আর্মেনিয়ার সাথে তাদের লড়াইয়ে তুরস্ক জড়িত নেই। তুরস্ক শুধু তাদের নৈতিক সমর্থন দিচ্ছে। তুরস্ক আর আজারবাইজানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক, জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে তুরস্কের মধ্যে দিয়ে ও তাদের সহযোগিতায় সিরীয় যোদ্ধাদের যে এই প্রথমবারের মত তাদের স্বদেশভূমির বাইরে লড়াই করতে পাঠানো হয়েছে, তা কিন্তু নয়। গত মে মাসে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, উত্তর সিরিয়া থেকে তুরস্কের মধ্যে দিয়ে সিরীয়দের লিবিয়া পাঠানো হয়েছে দেশটির গৃহযুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ত্রিপলিতে সিরীয় যোদ্ধাদের ভিডিও ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে উস্কানি দেবার অভিযোগ আনা হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমান রাইটস নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক রামি আবদুল রহমান বলছেন, আজারবাইজানে যোদ্ধা পাঠানো নিয়ে সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। তুর্কমেনী শিকড় আছে এমন কিছু উপদল তুরস্কের অনুরোধে যোদ্ধা পাঠানোর ব্যাপারে আগ্রহী। কিন্তু হমস্ এবং ঘওটাসহ অন্য উপদলগুলো এই সংঘাতে জড়াতে চায় না। তারা এই সংঘাতকে দেখে শিয়া মুসলিম প্রধান আজারবাইজানী ও আর্মেনীয় খ্রিস্টানদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব হিসাবে। সিরিয়ার বিরোধী বাহিনীর যোদ্ধারা প্রধানত সুন্নি মুসলিম। সবশেষ কথোপকথন কিছুক্ষণ কথোপকথন চলার পর আবদুল্লার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তার কথা আর শোনা যায়নি। আমার মনে হয়েছিল আবদুল্লা হয়ত ধরা পড়ে গেছেন এবং তাকে শাসানি দেয়া হয়েছে, অথবা তার ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে। তবে এমনও হতে পারে যে এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, যে কারণে যোগাযোগ আর সম্ভবপর হয়নি। সবশেষ যে কথা আবদুল্লা বলেছিলেন সেটা ছিল এর থেকে যেন দ্রুত মুক্তি মেলে তার জন্য দোয়া করতে। "যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে এখানে বসদের আমরা বলার চেষ্টা করেছি যে, আমরা সিরিয়াতে আমাদের ঘরে ফিরে যেতে চাই। ওরা বলেছেন - না। ওরা আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যুদ্ধ যদি না করি, দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের জেলে ভরে দেয়া হবে। আমরা সেই অর্থে এখন নির্বাসিত হয়ে গেছি।" | ''আমি জানতাম না আমরা যুদ্ধ করতে যাচ্ছি'' মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বিবিসিকে বলছিলেন আবদুল্লা (তার আসল নাম নয়)। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | লন্ডনে বিবিসির অফিস চীনের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। করোনাভাইরাস ও উইগর ইস্যুতে বিবিসির করা প্রতিবেদনের সমালোচনা করছে চীন। এদিকে বিবিসি বলছে, তারা চীনের এই সিদ্ধান্তে 'হতাশ'। যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ মিডিয়া রেগুলেটর অফকম চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) লাইসেন্স বাতিলের এক সপ্তাহের মাথায় চীনের পক্ষ থেকে বিবিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। সিজিটিএনের বিরুদ্ধে আভিযোগ ছিল গত বছর যুক্তরাজ্যের নাগরিক পিটার হামফ্রের জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি সম্প্রচার করা হয়, যাতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং রেগুলেশনের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র, টিভি এবং রেডিও প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত বিষয়ে বলেছে, চীন সম্পর্কে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সম্প্রচারের নীতিমালাগুলো 'গুরুতরভাবে লঙ্ঘন' করেছে। এর মধ্যে 'খবরের সত্যতা ও নিরপেক্ষতা' এবং 'চীনের জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি না করার' নীতিমালাগুলো লঙ্ঘন করেছে। তারা বলছে, আরো এক বছর সম্প্রচার করার জন্য বিবিসি যে আবেদন করেছিল সেটা গ্রহণ করা হবে না। চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট চীনের এই সিদ্ধান্তের পর বিবিসি এক বিবৃতিতে বলে, 'চীনের এমন সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সারা বিশ্ব থেকে নিরপেক্ষভাবে কোনো ভয় বা আনুকূল্য ছাড়া বিবিসি খবর প্রচার করে।' বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত বিবিসি ওয়ার্ল্ড টিভি চ্যানেল সারা বিশ্বে ইংরেজিতে খবর প্রচার করে। চীনে মূলত আন্তর্জাতিক হোটেল এবং কিছু কূটনৈতিক এলাকার মধ্যেই বিবিসি-র সম্প্রচার সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ, চীনা জনগণের অধিকাংশই এটি দেখতে পান না। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের এই সিদ্ধান্তকে 'অগ্রহণযোগ্যভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত করা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বলছে, চীনে মুক্ত গণমাধ্যমকে সঙ্কুচিত করার যে কাজ চলছে, এটা তারই অংশ। | চীনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইয়াবা বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক বছর আগে টেকনাফেই ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্নসমর্পণ করেছিল। অবৈধ মাদকের ব্যবসার বিরুদ্ধে দেড় বছরেরও বেশি সময়ে পুলিশ র্যাবের অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা এনকাউন্টারে কমপক্ষে ৪০০জন নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীদের আত্নসমর্পণ বা এমন অভিযানের পরও গত বছর টেকনাফ সীমান্তসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই কোটির বেশি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এসব পদক্ষেপ কতটা ভূমিকা রাখছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। টেকনাফে ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার ২১জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশের ডিআইজিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২১ হাজার ইয়াবাসহ তাদেরকে পুলিশ প্রথমে আটক করেছিল, এরপর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্নসমর্পণ করানোর পর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকের মামলা দায়ের করে জেলে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন বলছিলেন, এই মাদক ব্যবসায়ীদের আবেদন অনুযায়ী আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের ঐ পথ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ দেয়া হলো। "এই ২১জন এক জায়গায় জড়ো হওয়ার পর খবর পাওয়া গেছে যে তাদের কাছে মাদক এবং অস্ত্র আছে। পুলিশের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে একপর্যায়ে তারা বলে যে তারা আত্নসমর্পণ করতে চায়। সেকারণে তাদের এই আত্নসমর্পণ প্রক্রিয়া।" সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ির দেয়ালে 'ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি' লিখে চিহ্নিত করে রাখছে নিরাপত্তা বাহিনী। এক বছর আগে কক্সবাজারে যে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্নসমর্পণ করেছিল, তারা অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকের মামলায় জেলে রয়েছে বলে পুলিশ বলছে। একইসাথে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, যারা আত্নসমর্পণ করছে, তারা ছাড় পাবে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকের মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ তাদের সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখবে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে পুলিশ র্যাবের অভিযানে একের পর এক কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে এই অভিযান শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪০০জনের মতো নিহত হয়েছে এবং অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে পাঁচ হাজারের বেশি আটক রয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে। মানবাধিকার কর্মি সুলতানা কামাল মনে করেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বা রাঘব বোয়ালরা আত্নসমর্পণ করছে না বা তাদের ধরা হচ্ছে না, সেকারণে ইয়াবা ব্যবসা থামছে না। "মাদকের আসল ব্যবসায়ীদের কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, সেই প্রশ্ন থাকছেই।" মাদক বিরোধী অভিযানের কৌশল এবং সাফল্য নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে অবৈধ মাদক ব্যবসা এবং পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক। তিনি মনে করেন, মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আরও গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ীই দেখা যাচ্ছে, গত বছরে দুই কোটি বেশি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। তবে অধিপ্তরের মহাপরিচালক মো: জামাল উদ্দীন আহমেদ দাবি করেছেন, আত্মসমর্পণ এবং অভিযানের কারণে এখন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা নেই। "সম্প্রতি যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে, সেগুলোকে যদি বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে ইয়াবার প্রচলন যিনি ঘটিয়েছেন, তিনি এখন আর দৃশ্যপটে নেই। এভাবে অনেক গডফাদারের নাম উল্লেখ করতে পারি, যারা কেউ আত্মগোপনে গেছে বা কেউ জেলে আছে।" তিনি আরও বলেছেন, "২০১৯ সালে দুই কোটির বেশি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এর আগের বছর ২০১৮ সালে ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল পাঁচ কোটি ৩০ লাখ। ফলে ইয়াবা সরবরাহ কমে এসেছে।" তিনি এও দাবি করেছেন যে, প্রভাবশালী কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। | বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফে এবার ২১জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ঘটা করে আত্নসমর্পণ করানো হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পঞ্চাশোর্ধ ওই শিক্ষিকার নাম মার্গারেট জিসযিঞ্জার । তিনি এই অভিযোগে ক্যালিফোর্নিয়ার ভিসালিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রিপারেটরি হাই স্কুলে তার চাকরিটিও হারিয়েছেন। কৌসুলিরা বলছেন, তিনি দোষী নন বলে দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা, প্রহারসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয় । যারজন্য তার সাড়ে তিন বছরের জেল হতে পারে। মিজ জিসযিঞ্জার এক লাক ডলার মুচলেকা দিয়ে শুক্রবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন । মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও রেডিট-এ পোস্ট করা হলে তাতে দেখা যায় স্কুলটির বিজ্ঞানের শিক্ষক এক ছাত্রকে শ্রেণীকক্ষের একেবারে সামনের দিকে এসে বসতে বলেন। আরও পড়তে পারেন: 'শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে আত্মহত্যা করে?' স্কুলে কেমন শাস্তি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলবে না দায়ী কে - শিক্ষক না অভিভাবক? তিনি তারপর তার কয়েক মুঠো চুল কেটে দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা ভুল সুরে জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল। ছাত্রটির পক্ষের আইনজীবী সিএনএনকে বলেছেন, নিষ্কৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার মক্কেল "সম্পূর্ণ আতঙ্কগ্রস্ত" হয়ে পড়েছিল। এরপর মিজ জিসযিঞ্জার নিজের মাথার ওপরে কাঁচি উঁচু করে ধরে এবং বলতে থাকে "এরপর!" এরপর সে কোন মেয়ে শিক্ষার্থীর চুল কাটার হুমকি দেয়। এই ঘটনার পর টুলারে কাউন্টি অফিসের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা তার বিবৃতিতে বলেন "ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি"। | যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষিকা জোর করে তার ছাত্রের চুল কেটে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ক্লাস চলাকালে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় ওই শিক্ষিকা জোর করে তার চুল কেটে দিচ্ছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অভিবাসীদের উদ্ধারকারী জাহাজ থেকে নবজাতক এবং মা কে তুলে নিল মাল্টার বিমান ঐ জাহাজে আরো তিনশো মানুষ রয়েছে। এটি স্পেনের অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজ। মাল্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এই তিনশো জনের খাবার দেয়নি তারা। তবে মাল্টা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। প্রোএকটিভিয়া চ্যারিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, শিশুটি তিন দিন আগে লিবিয়ার একটা সমুদ্র সৈকতে জন্ম নেয় এবং তার জীবন এখন শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। প্রোএকটিভিয়ার নৌকা মাল্টা, ইটালিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে ফ্রান্স , তিউনেশিয়া এবং লিবিয়ার কাছে সাহায্য চেয়ে কোন লাভ হয়নি। আরো পড়ুন: একদল অভিবাসী যেভাবে পৌঁছাল ইউরোপে ইংরেজি ভাষার দিন কি ফুরিয়ে এসেছে নাগরিকত্ব পাচ্ছেন ফ্রান্সের অভিবাসী 'স্পাইডারম্যান' শিশুটি তিন দিন আগে লিবিয়ার একটা সমুদ্র সৈকতে জন্ম নেয় মাল্টার একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানে করে উদ্ধারের ঘটনাটি করা হয়েছে মাল্টার নিয়ম নীতির বাইরে গিয়ে। শুক্রবার লিবিয়ার কাছে সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে এই দাতব্য সংস্থাটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছিল ৩১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা, শিশুরা রয়েছে। সমুদ্রে তাদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁনো হয়েছে। তারা এটাও জানায় মাল্টা তাদেরকে খাবার সরবরাহ করা থেকে বিরত থেকেছে। সাথে যোগ করেছে "এটা বড়দিন হতে পারে না"। এদিকে ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ইটালির বন্দরগুলো বন্ধ এবং অভিবাসীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে না। তিনি একটি খাবারের ছবি পোষ্ট করেন এবং লেখেন তিনি ভালোভাবে খেয়েছেন। সুইডেন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর অভিবাসী অধ্যুষিত মালমো শহরের দিকে এক নজর সঙ্গে সঙ্গে এর উত্তরে প্রোএকটিভিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা অস্কার ক্যাম্প বলেছেন পরবর্তী প্রজন্ম তাকে নিয়ে লজ্জিত হবে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে এই বছরের শুরু থেকে ইটালি এবং মাল্টা যাওয়ার পথে ১৩শর বেশি মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘ বলছে, যারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা 'অকল্পনীয় ভীতিকর' অবস্থার মধ্যে পড়ছে। বেশিরভাগ নারী এবং কিশোরী মেয়েরা বলছে তারা চোরাচালানকারী বা মানবপাচারকারীদের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: "বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে দমনমূলক পরিবেশ" 'আমি নারী না পুরুষ তা আমিই ঠিক করবো' রামুতে হামলার কী প্রভাব পড়বে নির্বাচনে? ফেসবুকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পুলিশ কর্মকর্তা | মাল্টার একটি বিমান অভিবাসীদের একটি জাহাজ থেকে নবজাত শিশু এবং তার মাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তুলে নিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে কয়েকটি দেশের মধ্যে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | লোকসভায় অনুমোদনের পরই আসামে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিলো। বিলটির মূল উদ্দেশ্য হল সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া। আইনটির নাম নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬। এটি ভারতের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অনুমোদনের পরই ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে আসামে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা বলছে, এই আইন মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের প্রতি 'পক্ষপাতমূলক'। কী আছে এই আইনে? ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। এতে বলা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ সহ আরও কিছু অমুসলিম ধর্মাবলম্বীরা, যারা নিজের দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তারা যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকে, তবে তারা এই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত। এসব সম্প্রদায়ের মানুষজন ভারতে ছয় বছর বসবাসের পর সেখানকার নাগরিকত্ব পাবেন যা আগে ছিল এগারো বছর। তাদের কোন কাগজপত্র না থাকলেও চলবে। অনেকে মনে করেন আইনটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের আগে এখনকার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বিলটি পার্লামেন্টের একটি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এর পর গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের লোকসভায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। যে কারণে বিলটি নিয়ে এত বিরোধিতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জাতি ভিত্তিক সংস্থা এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা মনে করে এসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিলে সেটি স্থানীয় মানুষদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আশঙ্কা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। আরো পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলে সায় ভারতের মন্ত্রিসভার, কী আছে এতে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিল ভারত আসাম এনআরসি: বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ কতটা? আসাম ভিত্তিক দ্য সেন্টিনাল খবরের কাগজে লেখা হয়েছিলে যে, এই আইনের কারণে ভারতের অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশি প্রভাব পড়বে। এই বছর জানুয়ারি মাসে একটি সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'অতীতে সংগঠিত নানা ধরনের অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত' হিসেবে তার সরকার বিলটি পাশ করতে বদ্ধ পরিকর। এনআরসি নিয়েও বিক্ষোভ হয়েছে ভারতে। সেখানে লেখা হয়েছিলো, "বছরের পর বছর ধরে অন্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা বেশিরভাগই আসামে বসতি স্থাপন করেছে"। এই বিল নিয়ে মতবিরোধের কারণে আসামে বিজেপি'র মৈত্রী সংগঠন 'আসাম পিপলস পার্টি' জোট সরকার ত্যাগ করেছে। প্রতিবাদ হিসেবে আরও পদত্যাগ করেছিলেন আসামে বিজেপি'র মুখপাত্র মেহদি আলম বোড়া। আরো পড়ুন: আবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করছে মানুষ এনআরসি নিয়ে অমিত শাহকে কী বললেন মমতা? এনডিটিভিকে তিনি বলেছিলেন, "বিলটি আসামের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য সংকট ডেকে আনবে এবং আসাম চুক্তিকে অকার্যকর করতে দেবে।" ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিতে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বিদেশী নাগরিক সেখানে প্রবেশ করেছে তাদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা আছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসামের দৈনিক গৌহাটি অসমীয়া প্রতিদিন কাগজে লেখা হয়েছিলো. "নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনী পাশ হলে আসাম চুক্তি পুরোপুরি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।" বিলটির প্রতিবাদ করে আসছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন, 'নর্থ ইষ্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন'। তাদের নেতা প্রিতমবাই, সোনাম সেন্টিনাল কাগজকে বলেছিলেন, "বিলটি আদিবাসীদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।" ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস সহ বেশিরভাগ বিরোধীদল মনে করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিলে তা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভীতকে দুর্বল করবে। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আশংকা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পরবে। কংগ্রেস মনে করে এই আইনের কারণে সম্প্রতি হালনাগাদ করা 'ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (এনআরসি)' অকার্যকর হয়ে যাবে। আসামে মাস দুয়েক হল নাগরিকদের তালিকা করা হয়েছে, তাতে বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি বাসিন্দা। এনআরসি কিভাবে অকার্যকর হবে? ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বাংলাদেশি আসামে প্রবেশ করেছেন তাদের চিহ্নিত করার জন্য সেখানে এনআরসি হালনাগাদ করা হয়েছে। যা এর আগে সর্বশেষ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে। বর্তমানে এনআরসি যেভাবে কাজ করে তা হল সেটি ধর্মের ভিত্তিতে অভিবাসীদের আলাদা করে না। এনআরসি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানোর নিয়ম, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। সেক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ক সংশোধনী আইন ও এনআরসি সাংঘর্ষিক হবে। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের আর ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার আওতায় পরতে হবে না। কারণ সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমদের জন্য। অন্যান্য খবর: হজ কোটা বিভিন্ন দেশের জন্য যেভাবে নির্ধারিত হয় যেভাবে বোতল-বন্দি হলো 'জ্বীনের বাদশাহ্' পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছে ভারতেও | ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা বুধবার সে দেশের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | আরও একবার আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন ইনজামাম উল হক ম্যাচে তুমুল উত্তেজনা। পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ৪১ বলে ৪০ রান, উইকেটে ইনজামাম উল হক এবং ইউনিস খান। ইনজামাম বল ঠেলে দিলেন মিড অফে। কোন রান না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, তবে মিড অফে দাঁড়ানো ফিল্ডার বল তুলে সরাসরি থ্রো করলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ইনজামামের স্ট্যাম্পে। ইনজামাম অনেকটা ব্যাটিংয়ের মতো করেই বলটি ঠেকিয়ে দিলেন। আম্পায়াররা খানিকটা সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন, ইনজামাম আউট। কারণটা কী? ইনজামাম ছিলেন ক্রিজের বাইরে। যদি সরাসরি থ্রো কিংবা অন্য ফ্লিডারের মাধ্যমে বল স্ট্যাম্পে লাগলে তিনি আউট হতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি বলটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন, তাই আম্পায়াররা বিবেচনা করেছেন রানআউটের সম্ভাবনা। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান বেশ কিছুক্ষণ নিজের অবস্থান পরিস্কার করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই। ফলে তাকে আউট ঘোষণা করেই হলো আম্পায়ারদের। ক্রিকেটের ভাষায় এই ধরনের আউটের পরিচিতি 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' হিসেবে। পাকিস্তান সেই ওয়ানডে ম্যাচটা জিতেছিল বটে, কিন্তু এই আউট নিয়ে হয়েছে বিস্তর আলোচনা। ক্রিকেট নিয়ে বিবিসি বাংলায় আরও কিছু খবর: কোহলি বনাম স্মিথ: প্রজন্ম সেরা দুই ব্যাটসম্যানের পাঁচটি আলোচনার বিষয় স্কোয়াডে জায়গা পেলেন না মাশরাফী, তবে কি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল? আন্তর্জাতিকে ফিরছেন সাকিব, এবারও কি 'চ্যাম্পিয়নের মতই' ফিরবেন হিট উইকেট ইনজামাম উল হক ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন ব্যাটসম্যান বটে, তবে একই সাথে এই খেলায় একজন ব্যাটসম্যান যে হরেক রকমের উপায়ে আউট হতে পারেন, তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরণও তিনি। সেবার ইংল্যান্ডের সাথে টেস্ট ম্যাচ চলছে পাকিস্তানের। হেডিংলিতে পকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯২ আর ইউনিস খান ১৭৩ করে আউট হয়েছেন। সব মিলিয়ে তখন ৫ উইকেটে ৪৫১ রান পাকিস্তানের, উইকেটে আছেন ইনজামাম উল হক। এমন সময়ে ইংল্যান্ডের স্পিনার মন্টি পানেসারের একটা বল সুইপ করতে গিয়ে তিনি শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং উইকেটের ওপর পড়ে যান। স্ট্যাম্পের উপর থেকে বেল পড়ে যায়, সাথে সাথে মাঠে উল্লাস করে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। তবে ইনজামামকে নিয়ে মজার আউটের ঘটনা এখানেই শেষ না। ২০০২ সালে মরক্কো কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন অনটংয়ের বলে ছক্কা মারার পরেও আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ইনজামাম। ছক্কা মারার পর নিজের অজান্তেই তিনি স্ট্যাম্প নাড়িয়ে বেল ফেলে দেন, আর উইকেটের পেছনে থাকা মার্ক বাউচার সেটা লক্ষ্য করে আম্পায়ারকে জানান। 'হিট উইকেট' - এই আউট হয়ে প্যাভেলিয়নের পথ হাঁটা শুরু করেন ইনজামাম। ওই ম্যাচটিতে আট রানে হেরে যায় পাকিস্তান। ক্রিকেটে আরও একটি অদ্ভুত আউট হচ্ছে 'হিট দ্যা বল টোয়াইস' - ব্যাট দিয়ে ব্যাটসম্যান যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বলে দু'বার মারেন, সেক্ষেত্রে তাকে আউট ঘোষণা করবেন আম্পায়ার। তবে এই নিয়মে স্বীকৃত ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত কেউ আউট হননি। টাইমড আউট ক্রিকেটে সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। মাঠে সময় নষ্ট করার অপরাধে অধিনায়ক থেকে শুরু করে দলের সবার ম্যাচ ফি কেটে নেয়ার ঘটনাও ক্রিকেটে বিরল নয়। তাই সময় ক্ষেপণের জন্যও কোন একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যেতে পারেন - এবং সেটা এমনকি তিনি মাঠে নামার আগেই। ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলী ২০০৭ সালে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই ধরনের আউট হওয়া থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামার কথা ছিল সাচিন টেন্ডুলকারের। কিন্তু তিনি ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠ ছেড়ে বিরতি নিয়েছিলেন, ফলে নিয়মনীতি মানতে গিয়ে তিনি তখনই ব্যাটিংয়ে নামতে অযোগ্য হয়ে পরেন। ব্যাটিং লিস্টে নিচের দিকে থাকার পরেও গাঙ্গুলী নিয়মের প্যাঁচে পড়ে আগেই মাঠে নামতে বাধ্য হন। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি সময় নেন পাক্কা ছয় মিনিট। অবশ্য ওইদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা একটু উদারই ছিলেন - তারা কোন আপিল করেননি, তাই আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর পরের ব্যাটসম্যান মাঠে নামতে সময় নিতে পারেন সর্বোচ্চ তিন মিনিট, আর টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে এই সময়টা দুই মিনিট। ক্রিকেট সময়ের খেলা - সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছেন সাচিন, সৌরভ রিটায়ার্ড আউট একজন ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড আউট তখনই হতে পারেন, যখন তিনি আম্পায়ারের অনুমতি ছাড়াই ব্যাট করা থেকে মাঝ পথে অবসর নেন এবং আবারও ইনিংস শুরু করতে বিপক্ষ দলের অধিনায়কের অনুমতি পেতে ব্যর্থ হন। তিনি যদি আর মাঠে ফিরে না আসতে পারেন, তাহলে তার নামের পাশে লেখা হয় রিটায়ার্ড আউট। তাকে এই কারণেই আউট দেখানো হয়, যাতে তার ব্যাটিং অ্যাভারেজ হিসেব করতে সুবিধা হয়। আঘাত বা সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যদি একজন ব্যাটসম্যান মাঠ ছাড়েন, সাধারণত তিনি পুনরায় ইনিংস শুরু করার অনুমতি পান না। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ২০০১ সালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং মারভান আতাপাত্তু একই ইনিংসে কোন কারণ না দেখিয়েই মাঠ ছাড়েন। আতাপাত্তু ছিলেন ২০১ রানে, আর জয়াবর্ধনে তখন রান করেছেন ১৫০। দলের বাকিদের ব্যাট করতে সুযোগ করে দিতে মাঠ ছাড়েন তারা। ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান সব মিলেয়ে ১০ রকম ভাবে আউট হতে পারেন। তবে অদ্ভূত উপায়ে আউটের ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতে গোনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি ম্যাচে পরিচিত উপায়ে আউটের ঘটনাই দেখা যায়। এর একটি রান আউট - ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজে ঢোকার আগেই ফিল্ডাররা স্ট্যাম্পে বল লাগাতে পারে, তাহলে ব্যাটসম্যান রান আউট বিবেচিত হবেন। স্ট্যাম্পড - একজন ব্যাটসম্যান যখন ব্যাট করার সময় ক্রিজের বাইরে চলে আসেন এবং উইকেট কিপার বল ধরে স্ট্যাম্পে লাগিয়ে দেন, তখন তিনি আউট বলে বিবেচিত হন। তবে বেল আগেই পরে গেলে ব্যাটসম্যান আউট নন। খুব দক্ষ উইকেটকিপার হিসেবে পরিচিতি আছে মাহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মার্ক বাউচারের। কট আউট - একজন ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের হাতে ক্যাচের শিকার হতে পারেন। ক্যাচ তিন রকমের - সাধারণ ফিল্ডারদের ক্যাচ, বিহাইন্ড দ্য উইকেট অর্থাৎ উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ এবং কট অ্যান্ড বোল্ড অর্থাৎ ব্যাটসম্যান যদি সরাসরি বোলারের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। স্ট্যাম্পিং করার একটি চেষ্টা এলবিডব্লিউ হতে পারেন একজন ব্যাটসম্যান - স্ট্যাম্পের দিকে যেতে থাকা বল যদি ব্যাটসম্যান ব্যাট বা গ্লাভসের সাহায্য না নিয়ে পা, শরীর বা অন্য কোন সরঞ্জাম দিয়ে বল থামিয়ে দেন, তখন সেটি লেগ বিফোর উইকেট হিসেবে বিবেচিত হয়। শুরুর দিকে ক্রিকেটে এই আউট ছিল না। তবে ক্রিকেটের আইন নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা যখন বোঝেন যে ব্যাটসম্যান ব্যাটের সাহায্য ছাড়াও উইকেটে টিকে থাকতে পারেন কেবল পায়ের সাহায্য নিয়ে, তখন লেগ বিফোর উইকেটকে এক ধরণের আউট হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এলবিডব্লিউ এখন পর্যন্ত ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত আউট - নানা সময়ে এর নানা নিয়ম কানুনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যদিকে, আম্পায়াররাও নানা সময়ে এলবিডব্লিউ নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন। তবে সবচেয়ে সহজ হচ্ছে বোল্ড উইকেট - বোলারের বলে ব্যাটসম্যান পরাস্ত হয়ে স্টাম্পে লাগলেই তিনি বোল্ড আউট বলে বিবেচিত হন। ক্লিন বোল্ড! | এই ঘটনা ২০০৬ সালের। পেশোয়ারে চলছে পাকিস্তান-ভারত সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | রংপুরে শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুর মা'কে বিবিসি বাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে মিঠাপুকুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, মিঠাপুকুরের সাল্টিগোপালপুরের গোপীনাথপুর সরকারপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই মাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি। মিস্টার বিশ্বাস বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ পান যে, কলপাড়ে থাকা গোসল করার জন্য রাখা ট্রাম ভর্তি পানিতে ৫২ দিন বয়সী নিজের শিশু কন্যাকে ফেলে দেন ওই মা। পরে শিশুটি মারা যায়। প্রতিবেশীরা এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। আরো পড়তে পারেন: বনশ্রীর দুই শিশু হত্যার ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা শিশু হত্যা: যেসব কারণে এতো দ্রুত বিচার 'উত্যক্তকারী, প্রতিবেশীদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার ২১২ শিশু' দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এর আগেও আরো দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে ওই নারীর। যাদের এক জনের বয়স ১২ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৪ বছর। সম্প্রতি পুত্র সন্তানের আশায় গর্ভধারণ করলেও শেষমেশ আরো একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। "এনিয়ে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে মনোমালিন্য ছিল তার," তিনি বলেন। এর জের ধরেই এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি। গ্রেফতারের পর ঐ অভিযুক্ত নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। | রংপুরের মিঠাপুকুরে ৫২ দিন বয়সী এক মেয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আর এতে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির মাকে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ফুলগাছের চেয়ে ফল বা সবজি গাছ কেনায় ক্রেতারা বেশী আগ্রহী বলে জানান বিক্রেতারা এবারের বৃক্ষমেলা থেকেও বেশকিছু নতুন ধরণের ফল ও মশলার গাছ কিনছিলেন তিনি। মিজ. হোসেন বলেন, "এতদিন বাসার ছাদে লেবু, আঙ্গুর, চাইনিজ কমলার মত নানা ধরণের ফলের চাষ করতাম, তা দিয়ে ৩-৪ জনের পরিবারের ফলের চাহিদা পূরণ হতো।" সুযোগ সুবিধা পেলে এতদিনের বাগান করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বড় পরিসরে ব্যবসায়িকভাবে ফল, সবজি, মশলার চাষ করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়, অধিকাংশ মানুষই ছাদে বা বারান্দায় ফল,সবজির চাষ করেন পরিবারের সদস্যদের জন্য টাটকা ও ভেজালমুক্ত খাবারের যোগান নিশ্চিত করতে। কেন ছাদে ফল চাষ করতে চায় মানুষ? অনেকেই বলেন বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধন বা শখ পূরণ করতেই ছাদে বা বারান্দায় বাগান করে থাকেন তারা। তবে মেলায় আসা অধিকাংশ গৃহিণীই বলেন শুধু শখের বশে কিংবা বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্যেই নয়, ছাদে বা বারান্দায় ফল বা সবজির গাছ লাগিয়ে পরিবারের চাহিদাও পূরণ করেন তারা। ঢাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা শাহিদা শামিম জানান বাড়ির ছাদে ফুলগাছের পাশাপাশি লেবু, মরিচ, পেয়ারা, পুঁইশাকসহ নানা ধরণের ফল, সবজি ও মশলার গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এসব গাছ থেকে সংগৃহীত ফসল দিয়ে তাঁর পরিবারের ফল,সবজি ও মশলার চাহিদা অনেকাংশেই মিটে যায়। লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট বাসার বাসিন্দা মিজ. সুমাইয়া জানান ছাদে জায়গা না থাকায় বারান্দাতেই ফল, সবজির গাছ লাগিয়েছেন তিনি। মিজ. সুমাইয়া বলেন, "নিজের বাগানের ফল বা সবজি দিয়ে পরিবারের চাহিদার কিছুটা পূরণ হয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো পরিবারের সদস্যরা ভেজালমুক্ত ও টাটকা খাবারের নিশ্চয়তা পাচ্ছে - এই তো অনেক বেশী।" পাশাপাশি ঘরের সাথে বাগান থাকায় একধরণের মানসিক প্রশান্তির অনূভুতি তৈরী হয় বলেও বাগান করতে ভালবাসেন মিজ. সুমাইয়া। মেলায় অধিকাংশ ক্রেতাকেই দেখা যায় ছাদ বা বারান্দায় টবে লাগানোর উপযোগী নানা ধরণের ফুল, ফল, সবজি বা মশলার গাছ কিনতে। সাধারণত ছাদবাগানে যেসব ফল দেখা যায়, যেমন পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, পেপে, সেগুলো বাদেও অ্যাভোক্যাডো, ড্রাগনফ্রুটের মত নতুন নামের বিদেশী ফল কিনতে দেখা যায় ক্রেতাদের। আরও পড়তে পারেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শ'খানেক শিক্ষার্থী যে কারণে আটক যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী মারা গেছেন ছাদে ফল বা সবজি চাষে কতটা আগ্রহী মানুষ? ঢাকার বৃক্ষমেলায় ফুলগাছ বা নিছক সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চেয়ে এবার ফল ও সবজির গাছের চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশী বলে জানান বিক্রেতারা। সোহরাব হোসেন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, "মেলায় ফলের গাছের চাহিদাই বেশী। আর ফলের মধ্যে চেনা দেশী ফলের চেয়ে বিদেশী ফলের দিকেই বেশী আগ্রহ মানুষের।" সোহরাব হোসেনের মতে ইন্টারনেটে টবে লাগানোর উপযোগী নতুন নতুন বিদেশী ফল সম্পর্কে ধারণা পেয়ে সেসব ফল কিনতে বেশী আগ্রহ প্রকাশ করে ক্রেতারা। গতবছর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনই ঘোষণা দিয়েছিল, ঢাকার ভেতরে বনায়নের চাহিদা মেটাতে যারা বাড়ির ছাদে বাগান করবে, তাদের ১০ শতাংশ কর মওকুফ করা হবে। বৃক্ষমেলায় বিক্রেতারা ধারণা করছেন সিটি কর্পোরেশনের এরকম সিদ্ধান্তে উদ্বুদ্ধ হয়েই মানুষ ছাদে বাগান তৈরীতে আগের চেয়ে বেশী আগ্রহী হয়েছে। | ঢাকার নিকেতনের বাসিন্দা সামিনা হোসেন অনেকদিন ধরেই বাসার ছাদে নানাধরণের মশলা, ফল ও সবজির বাগান করছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বলিউড তারকা তুষার কাপুর অতীতের সুপারস্টার জিতেন্দ্রর ছেলে তুষার জানিয়েছেন, আইভিএফ প্রযুক্তি ও সারোগেসির মাধ্যমে এ মাসেই ‘লক্ষ্য’ নামে এই শিশুটির জন্ম হয়েছে – এবং এখন একজন ‘সিঙ্গেল ফাদার’ হিসেবে বাবা-মা-বোনের সাহায্যে তিনি তাকে মানুষ করবেন। বলিউডের অনেক সতীর্থ ও দেশের অনেক সিঙ্গেল বাবা-মা তুষার কাপুরকে সাবাস জানলেও আইনি বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন তার এই সিদ্ধান্ত কতটা আইনসিদ্ধ তা এখনও পরিষ্কার নয়। গত প্রায় ১৫/১৬ বছর ধরে বলিউডে মোটামুটি সাফল্যের সঙ্গেই অভিনয় করে যাচ্ছেন তুষার কাপুর – তবে এতদিন তার কোনও ছবিই ততটা সাড়া ফেলেনি যতটা ফেলেছে তার সোমবার বিকেলের ঘোষণা, যে তিনি সিঙ্গেল ফাদার হচ্ছেন! তুষার বলছেন, ‘বাবা হওয়ার ইচ্ছে তো ছিলই। ড: ফিরোজা পারিখ আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন কীভাবে সেটা সম্ভব, তার কথা শুনেই আমি এগোই – আমার একটু তাড়াও ছিল, কারণ আমি এ বছর চল্লিশে পড়ব। আমি খুব খুশি যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি – আমার পরিবার, বাবা-মা, আমি, বোন আর ছোট্ট লক্ষ্য-কে নিয়ে এতদিনে সম্পূর্ণ হল।’ তুষারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই করণ জোহর, ফারাহ খান, রীতেশ দেশমুখের মতো সহকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে বিয়ে না-করেও এভাবে বাবা হওয়ার জন্য তার সাহসের প্রশংসা করেছেন। গর্ভ ভাড়া নিয়ে বাবা হয়েছেন তুষার কাপুর তুষার নিজে অবশ্য বলেছেন, এটা সাহসের ব্যাপার নয় – পিতৃত্বের ইনস্টিংক্টের ব্যাপার। যখন তিনি নিজেকে পিতৃত্ব নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত মনে করেছেন তখনই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তুষার কাপুর যে একটা দারুণ দৃষ্টান্ত গড়লেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই – বলছিলেন আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান নেওয়া অনিন্দিতা সর্বাধিকারী । তিনি বলেছেন, ‘সময়ের সাথে ভারতবর্ষে অনেক দরজা জানালাই খুলছে। পৃথিবীতে পরিবারের সংজ্ঞাও খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। তার সাথে আমাদের দেশও যে পিছিয়ে নেই, তুষার কাপুর সেটা নিজের জীবনে প্রমাণ করলেন।’ মিস সর্বাধিকারী আরও বলছিলেন, তিনি যখন স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে স্পার্ম নিয়ে আইভিএফ করে সিঙ্গেল মাদার হয়েছিলেন, তখন তার সে রকম আর কোনও উদাহরণ তার জানা ছিল না। কিন্তু যখন একজন সেলেব্রিটি এরকম পদক্ষেপ নেন, তখন আরও বহু মানুষ – প্রথাগত রাস্তায় নানা কারণে যাদের পক্ষে বাবা-মা হওয়া সম্ভব নয় – তাদের পিতৃত্ব বা মাতৃত্বের স্বপ্নও পূর্ণ হতে পারে। সে কারণেই মিস সর্বাধিকারীর মতে এটা ভীষণ সাহসী একটা পদক্ষেপ। কলকাতার সিঙ্গেল মাদার ও চিত্রপরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী এর পরেও যে প্রশ্নটা থাকছে তা হল তুষার কাপুরের এই পিতৃত্ব কতটা আইনসিদ্ধ। তুষার নিজে দাবি করেছেন, সমস্ত আইনি বাধ্যবাধকতা তিনি পূর্ণ করেছেন, তবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিক্রমজিৎ ব্যানার্জি মনে করেন সারোগেসি চুক্তি নিয়ে ভারতীয় আইনে বেশ কিছু অস্পষ্টতা আছে। মি ব্যানার্জির কথায়, ‘দুদিক থেকেই এটা দেখা যেতে পারে। কেউ বলতে পারেন এটা আমার পিতৃত্বের অধিকার, আমি করেছি ব্যাস। আবার অন্য দিক থেকে কেউ বলতে পারেন এই ধরনের পিতৃত্ব নৈতিকতা বা সামাজিকতার পরিপন্থী।’ ‘ফলে যতক্ষণ না আদালতে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও রায় আসে – কিংবা ভারত সরকার সারোগেসি চুক্তিতে মা বা গর্ভধারিণীর অধিকার নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে, ততদিন এই ধরনের পিতৃত্ব নিয়ে আইনি অস্পষ্টতা থেকেই যাবে,’ বলছিলেন মি ব্যানার্জি। ফলে কখনও যদি কেউ তুষারের সন্তানের জন্ম নিয়ে বা মাতৃত্বের দাবি নিয়ে কোর্টে যান তখন কী হবে সেটা আলাদা প্রশ্ন, কিন্তু আপাতত তুষার কাপুরকে লোকে নতুন করে চিনছে ভারতে একাকী বাবা-দের আইকন হিসেবেই! | বলিউড অভিনেতা তুষার কাপুর বিয়ে না-করেও একটি সন্তানের বাবা হওয়ার কথা ঘোষণা করে দেশকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কংগ্রেসের শুনানীতে মার্ক জাকারবার্গ তবে তিনি সেই সঙ্গেই কথা দিয়েছেন, আগামীতে সব ভুল শুধরে ফেসবুক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই কাজ করবে। নির্বাচনে ফেসবুকের ডেটা ব্যবহার নিয়ে ভারতের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেস এর আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিল। জাকারবার্গের এই স্বীকারোক্তির পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ফেসবুক ভারতের ভোটকে কীভাবে ও কতটা প্রভাবিত করতে পেরেছে? ভারতে বিশেষজ্ঞরাই বা এ ব্যাপারে কী বলছেন? কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা যে তারা ঠিকমতো সামলাতে পারেননি এবং তার মাধ্যমে নানা দেশের নির্বাচনকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসে পাঁচ ঘন্টার দীর্ঘ শুনানিতে মার্ক জাকারবার্গ সেটা অবশেষে মেনেই নিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গেই তিনি একরকম মুচলেকা দিয়েছেন, এই ভুল আর হবে না। তিনি বলেছেন, "আগামী এক বছরে ভারত-ব্রাজিল-মেক্সিকো ইত্যাদি নানা দেশের নির্বাচনে সততা বজায় রাখার জন্য যা করতে হয় ফেসবুক তা করবে।" আগে যে সেটা হয়নি, মেনে নিয়েছেন তাও। কীসের ভিত্তিতে তিনি আগেকার ভুল শুধরে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, সে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর কথা। যে সব ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা কিংবা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, সেগুলোও এই পদ্ধতিতে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের মতো দেশের ভোটে ফেসবুক ডেটা কাজে লাগানো হয়েছে বলে যে সন্দেহটা এখন দানা বাঁধছে, সেটা সত্যি হলে করা হয়েছে কীভাবে? ভারতের দ্য সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির গবেষণা-প্রধান সুমন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, "আমাদের ফোনে ফেসবুক, কম্পিউটারে ফেসবুকে। ফোনে হয়তো আপনি হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন, সেগুলোও ফেসবুক।" বিবিসি বাংলার আরো পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিএনপি দাঙ্গার ক্ষত কি মুছতে পারবেন নরেন্দ্র মোদী ভারতের গত নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি বিজয়ী হয় "ফেসবুকের এই সুবিস্তৃত ইকোসিস্টেমের বাইরেও হয়তো আপনি নানারকম ওয়েবসাইট দেখেন, সেখানেও লগইন করেন ফেসবুক আইডি ব্যবহার করেই। ফলে আপনার দৈনন্দিন জীবনে আপনি কোন সাইটে কত সময় কাটাচ্ছেন, এরকম ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রায় সব তথ্যই পৌঁছে যায় ফেসবুকের হাতে। "ফেসবুক একটা ব্যক্তি মানুষের সম্পর্কে এভাবে যা যা জানতে পারে, সেই ডেটা আর কার কার কাছে যায় সেটা একটা প্রশ্ন। দ্বিতীয় প্রশ্নটা হল ফেসবুক থেকে একটা মানুষ সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করে সেই মানুষটাকে কীভাবে প্রভাবিত করা যায় বা তার ভাবনাচিন্তাকে কীভাবে দিশা দেওয়া যায় ... কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো সংস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে ঠিক সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেছে", বলছিলেন মি চট্টোপাধ্যায়। "সাফল্যের অনেক দাবিদার থাকে", এই যুক্তি দিয়ে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আগেই অবশ্য কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো সংস্থা - যাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ডেটা রাজনৈতিক কারণে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে - তাদের সঙ্গে দলের সব সংস্রবের কথা অস্বীকার করেছিলেন। ঠিক একই ধরনের কথা বলেছেন কংগ্রেসের আই টি সেলের প্রধান দিব্যা স্পন্দনাও, তিনি জানিয়েছেন কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা নির্বাচন নিয়ে দলের কোনও কোনও নেতার সঙ্গে হয়তো কথা বলেছে - কিন্তু কংগ্রেস তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। তবে ঘটনা হল, কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকার সাইটে মক্কেল হিসেবে বিজেপি ও কংগ্রেস - এই দুই দলেরই নাম ছিল মাত্র কিছুদিন আগেও। ক্যাম্ব্রিজ এ্যানালিটিকা কেলেংকারিতে ফেসবুকের নাম জড়িয়ে গেছে সুমন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও বলছিলেন, ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কিংবা ইনফর্মেশন ওভারলোড বা তথ্য-ঝড়ে বেসামাল করে আম ভারতীয় ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। "ফেক আ্যাকাউন্টের একটা উদ্দেশ্য হল ট্রোলিং। ধরুন আপনি এমন কিছু পোস্ট করলেন, যা কোনও রাজনৈতিক দলের মতের বিরুদ্ধে যায়। তখন আগে থেকেই অটোমেট করা বট-রা বা ট্রোলরা আপনার অ্যাকাউন্টে গিয়ে নানারকম উল্টোপাল্টা কমেন্ট করতে শুরু করবে। আপনি হয়তো ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবেন।" "আবার ধরুন ভারতের মতো দেশে মফসসল শহরের সাধারণ একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী - তার কাছে এইটাই প্রশ্ন থেকে যায় সে তার পারিপার্শ্বিক থেকে যা শুনছে সেটাই তার মূল নির্বাচনী অবস্থান স্থির করে দিচ্ছে, না কি ফেসবুকের মাধ্যমে যে কথাবার্তা হচ্ছে কিংবা যে ধরনের কনটেন্ট অ্যাকসেস করার সম্ভাবনা হচ্ছে সেটা দিয়েই তার রাজনৈতিক মতামত তৈরি হচ্ছে?", বলছিলেন সুমন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই ধরনের চেষ্টার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কাজটা পুরোপুরি বেআইনি কি না, তা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তা ছাড়া ফেসবুক ডেটা কাজে লাগিয়ে ভারতে কোন দল আদৌ কতটা রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিল করতে পেরেছে, সেটাও খুব স্পষ্ট নয়। কিন্তু নির্বাচনে ফেসবুকের ভূমিকা যে সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিল না, সেটা কিন্তু এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। | ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফেসবুক যে অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, ওই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে তা কার্যত স্বীকারই করে নিয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে শীত মওসুম শুরু হলে করোনাভাইরাস আর ফ্লু এই দুই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে এ কারণে আশংকা দেখা দিয়েছে যে ঋতু পরিবর্তনের সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাবে এবং বলা হচ্ছে, প্রথম দফায় সংক্রমণ যত ব্যাপক ছিল - দ্বিতীয় দফায় তা আরো মারাত্মক হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ কেমন চেহারা নেবে -তার পূর্বাভাস দেয়া কি এত সহজ-সরল? মোটেও তা নয়। বরং ব্যাপারটা বেশ জটিল। শুধু করোনাভাইরাসের প্রকৃতি নয়, অন্য নানা রকম শীতকালীন রোগজীবাণু, মানুষের আচরণ, সরকারী নীতির সাফল্য-ব্যর্থতা – এরকম অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসলেই আসবে কিনা। তা ছাড়া বিজ্ঞানে এখন নতুন কিছু গবেষণা চলছে যাতে দেখা যায় যে একটি ভাইরাল সংক্রমণ হয়তো অন্য কোন ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকে দিতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এর কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা এখনো অজানা। করোনাভাইরাস কি শীতের সময় বেশি ছড়াবে? এর উত্তর এখনও পাওয়া যায় নি। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন হবার সম্ভাবনা আছে। তবে এটা বলা হচ্ছে অন্য ভাইরাস সম্পর্কে আমরা যা জানি তার ওপর ভিত্তি করে। করোনাভাইরাস আছে মোট চার রকমের -যা সাধারণ সর্দিজ্বরের লক্ষণ সৃষ্টি করে। প্রতিটিই সহজে ছড়ায় শীতের সময় । ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনোভাইরাস, এবং আরএসভি নামে আরেকটি ভাইরাস – এর সবগুলোরই আচরণ মোটামুটি একই রকম। শীতের সময় একই সাথে শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জা আর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশংকা করছেন অনেকে তবে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এ্যান্ড ট্রপিক্যার মেডিসিনের ড. রেচেল লো বলছেন, “এগুলো হয়তো মৌসুমি হতে পারে, কারণ অন্য কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শীতকালে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায় – কিন্তু আবহাওয়া নাকি মানুষের আচরণ, কোনটার প্রভাব এখানে বেশি এখনো তা বোঝার ক্ষমতা খুব সীমিত।" তবে দেখা গেছে, মানবদেহের বাইরের পরিবেশ যখন ঠান্ডা - তখন সব ভাইরাসই অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের জন্য বিশেষ করে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিশেষ অনুকুল বলে দেখা গেছে। সূর্যের আলোয় যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে তা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। কিন্তু শীতের সময় অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণও কম থাকে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে ঠান্ডার সময় লোকে ঘরের ভেতরেই বেশি থাকে। দরজা জানালা থাকে বন্ধ থাকে। বাতাস চলাচল করে কম। এবং এই পরিবেশই করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য সহায়ক। ব্রিটেনের একাডেমি অব মেডিকাল সায়েন্সেস-এর এক পূর্বাভাসমূলক রিপোর্ট বলছে, শীতের সময় ব্রিটেনের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হলে তাতে আড়াই লাখেরও বেশি লোক মারা যাবে। কিছু বিশেষজ্ঞ আশংকা করছেন শীতের সময় ব্রিটেনে আড়াই লাখ পর্যন্ত মানুষ মারা যেতে পারে এই রিপোর্টে ধরে নেয়া হয়েছে যে সে পরিস্থিতিতে ‘আর’ নম্বর হবে ১ দশমিক ৭ অর্থাৎ একজন সংক্রমিত ব্যক্তি আরো ১.৭ জনকে সংক্রমিত করবে। বর্তমানে ব্রিটেনে এই ’আর’ নম্বর ১ এর নিচে। লকডাউনের আগে তা ছিল প্রায় ৩। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ওয়েন্ডি বার্কলি বলছেন, এখনো অনেক কিছুই অজানা, তবে লোকে যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন তার সঙ্গত কারণ আছে, এবং ব্রিটেনে একটা দ্বিতীয় ঢেউ আসা খুবই সম্ভব। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ব্রিটেনে জনসংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে, ৯৫ শতাংশের ভাইরাস প্রতিরোধের কোন ক্ষমতাই নেই। এখানে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হয় নি। অন্য ভাইরাসগুলো কি সমস্যার কারণ হতে পারে? যেটা বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন তা হলো - করেনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবং নিয়মিত শীতকালীন ফ্লু – দুটো যদি একসঙ্গে হয় তাহলে কি হবে? এটা ঠিক যে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষ ঘন ঘন হাত ধুচ্ছে, মুখে মাস্ক পরছে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছে, বাড়িতে বসে কাজ করছে। তাই এমন হতে পারে যে আসন্ন শীতে নিয়মিত ফ্লু ভাইরাসও হয়তো বেশি ছড়াতে পারবে না। অস্ট্রেলিয়াতে এখন শীত চলছে। সেখানে ঠিক এই ব্যাপারটাই দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের সময় সেখানে শীতকালীন ফ্লু প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন গবেষণা চলছে, দ্রুত করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরির জন্য চিলি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দক্ষিণ গোলার্ধের দেশেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। তার পরেও ড. লো বলছেন, আসন্ন শীতকালে করোনাভাইরাসের একটা দ্বিতীয় ঢেউএর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। একটি ভাইরাস কি আরেকটিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে? এটা হচ্ছে বৈজ্ঞানিকদের জন্য সবচেয়ে বড় কৌতুহলের ব্যাপার যে সার্স-কোভ-টু (করোনাভাইরাসের পোশাকি নাম) ভাইরাসটি অন্য ভাইরাসের সাথে কি আচরণ করে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী সব ভাইরাসই মানবদেহের একটি জায়গাতেই সংক্রমণ ঘটায়, আর তা হলো, মানুষের নাক, গলা ও ফুসফুসের ভেতরের কোষগুলো। একারণেই ভাইরাসগুলোর মধ্যে জায়গা দখলের লড়াই শুরু হতে পারে। বেশ কিছু জরিপে দেখা গেছে যে এক ধরণের ভাইরাস সংক্রমণ অন্য আরেকটি ভাইরাসকে ঠেলে সরিয়ে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, ইউরোপে রাইনোভাইরাস সংক্রমণের কারণেই ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ বিলম্বিত হয়েছিল। শীতের সময় মানুষে দরজা জানারা বন্ধ করে ঘরে থাকে, আর এ পরিবেশেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ত্বরান্বিত হতে পারে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস গবেষণা কেন্দ্রের ড. পাবলো মারসিয়া বলছেন, একটি ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মানবদেহে যে রোগ-প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া হয় – তা অন্য কিছু ভাইরাসকে অন্তত খানিকটা সময়ের জন্য ঠেকিয়ে রাখতে পারে। তবে অন্য কয়েকটি জরিপে আবার দেখা গেছে যে কিছু কিছু ভাইরাস বেশ ‘মিলেমিশে’ থাকতে পারে এবং পাশাপাশি বিস্তার ঘটাতে পারে। প্রশ্ন হলো: করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-টুর বেলায় কী ঘটবে? ড. মারসিয়া বলছেন, আমাদের উপাত্তে দেখা যায় যে মিশ্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়ানোর দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। “কাজেই আমার মনে হয় – একই সাথে সার্স-কোভ-টু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াচ্ছে এমনটা হয়তো আমরা খুব বেশি দেখতে পাবো না।“ একসঙ্গে দুটি ভাইরাসেই সংক্রমিত হয়েছেন এমন লোক পাওয়া গেছে খুবই কম। তবে যখন এটা ঘটেছে – তখন দেখা গেছে উপসর্গ ছিল অনেক বেশি গুরুতর। তবে ড. মারসিয়া বলছেন, অন্য কিছু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে অবশ্য দেখা গেছে যে তারা আরএসভি, এডেনোভাইরাস এবং কিছু প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জার সাথে একই সময়ে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তিনি বলছেন, ”আমি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে আছি।“ পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় | আর মাস তিনেকের মধ্যেই শীত আসছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এসময়টায় ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু-র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সিরিয়ায় অন্তত ১০৬টি রাসায়নিক আক্রমণ চালানো হয়েছে সাত বছরে যে গৃহযুদ্ধে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, অগণিত লোক ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে - তাতে কিভাবে বিজয়ের এত কাছাকাছি আসতে পারলেন মি. আসাদ? বিবিসি প্যানোরামা আর বিবিসি আরবি বিভাগের সাংবাদিকরা এক যৌথ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছেন, এই যুদ্ধ জয়ের জন্য মি. আসাদের কৌশলে এক বড় ভুমিকা পালন করেছে রাসায়নিক অস্ত্র। বিবিসি প্যানোরামার নওয়াল আল-মাগাফি রিপোর্ট করছেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় মোট ১০৬টি রাসায়নিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে। সে সময় দামেস্কের উপকণ্ঠে একাধিক এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণ চালানো হয়। নার্ভ গ্যাস সারিন বা ওই জাতীয় কোন গ্যাসের আক্রমণে কয়েক শ লোক নিহত হয়। সেই আক্রমণে আক্রান্ত লোকদের ছটফটানোর দৃশ্য সারা পৃথিবীকে স্তম্ভিত করে। পশ্চিমা দেশগুলো এর জন্য মি. আসাদের সরকারি বাহিনীকে দায়ী করলেও, মি আসাদ তার বিরোধীদের দায়ী করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফিরে দেখা: সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর সিরিয়া: আসাদের যুদ্ধের অপ্রতিরোধ্য গতি পূর্ব ঘুটায় রাসায়নিক হামলায় আক্রান্ত শিশু সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক হামলা হয় উত্তর পশ্চিমের ইদলিব প্রদেশে, তবে এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী হামা, আলেপ্পো এবং পূর্ব ঘুটাতেও বহু রাসায়নিক আক্রমণ হয়। এসব এলাকার সবগুলোই আক্রমণের সময় বাশার আসাদ-বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আসাদের বাহিনীর অভিযানের সাথে তাল মিলিয়ে রাসায়নিক আক্রমণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আক্রমণগুলো চালানো হয়েছে সরকারি বাহিনীর অভিযানের সাথে তাল মিলিয়ে। চ্যাথাম হাউসের গবেষক ড. খতিব বলছেন, "সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী যখনই চেয়েছে স্থানীয় লোকজনকে ভয় দেখাতে, বা কঠোর বার্তা দিতে - তখনই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্র যে শুধু ভীতিকর তাই নয়, এটা অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সুবিধাজনকও বটে - কারণ যুদ্ধের কারণে শাসকগোষ্ঠীর সামরিক ক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে।" লোকজনকে ভয় দেখিয়ে পালাতে বাধ্য করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ড. খতিব বলেন, আক্রমণের একটা প্যাটার্ন দেখা গেছে। সিরিয়ায় মূলত এই এলাকাগুলোতে রাসায়নিক আক্রমণ চালানো হয় সরকারবিরোধীদের দখল করা এলাকায় প্রথমে সাধারণ বোমা দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। তার পর চালানো হয় রাসায়নিক অস্ত্র হামলা, যাতে বহু হতাহত হয় এবং স্থানীয় লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। এভাবেই শাসকগোষ্ঠী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে স্থানীয় লোকদের তাড়িয়ে তা পুনর্দখল করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে। কিভাবে আলেপ্পোতে প্রয়োগ হয়েছে এই মডেল একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিদ্রোহীদের হাত থেকে সরকারি বাহিনীর আলেপ্পো পুনর্দখল। বিবিসির তথ্যে জানা যায়, আলেপ্পো শহরের ওপর সরকারি বাহিনীর অভিযানের সময় ২০১৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মোট ১১টি ক্লোরিন গ্যাস আক্রমণ হয়। এর মধ্যে শেষ দু'দিনে চালানো হয় পাঁচটি আক্রমণ। সবগুলোই হয় বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং চালানো হয় বিমান থেকে। এর পর সরকারবিরোধী যোদ্ধারা এবং তাদের সমর্থকরা আত্মসমর্পণ করে এবং এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি হয়। এ শহরটিতে যুদ্ধের শেষ কয়েক সপ্তাহে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি লোক পালিয়ে যায়। এটা ছিল গৃহযুদ্ধের এক মোড় বদলকারী ঘটনা। সিরিয়ার সরকার অবশ্য কখনোই ক্লোরিন আক্রমণের কথা স্বীকার করে নি। দুমায় দৃশ্যত সরকারি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত একটি রকেট পূ্র্ব ঘুটা শহরেও আক্রমণের একই প্যাটার্ন দেখা গেছে। দেখা যাচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা এবং সরকারবিরোধীদের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানো দুটোই ঘটেছে মোটামুটি একই সময়ে। বিদ্রোহীরাও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তদন্তে ধারণা পাওয়া যায় যে, সরকারি বাহিনী ছাড়া অন্যরাও রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গোটা পাঁচেক আক্রমণ ইসলামিক স্টেটের চালানো বলে প্রমাণ মিলেছে। সিরিয়ান সরকার এবং রাশিয়া বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক আক্রমণের অভিযোগ আনলেও আইএস ছাড়া অন্য কোন গোষ্ঠী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে বিবিসিকে কোন সাক্ষাতকার বা কোন প্রশ্নের জবাব দেয় নি সিরিয়ার সরকার। প্যানোরামার দলকে দামেস্ক ও দুমায় যাবার অনুমতিও দেয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বিএনপি কেন যোগ দিল আরো একটি জোটে 'অযথা চাপ' তৈরি করছিল বিকল্পধারা: বিএনপি মহাসচিব 'নিজেকে তখন রাজকুমারী মনে হচ্ছিলো ' ঢাকার রাস্তায় সম্পাদকদের নজিরবিহীন মানববন্ধন হিম-টু: 'মেয়েদের ডেট করতে ভয় পাচ্ছে আমার ছেলে' | সিরিয়ায় সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলার পর এখন মনে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এখন তার শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার আগে অন্তত ছয়টি পরীক্ষার ফলাফলে আসে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। এদিকে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে, চূড়ান্ত ভাবে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়ার আগেই শুধু উপসর্গ থাকলেই তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরা হচ্ছে। যার কারণে এক দিনে ১৫,০০০ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়- যা এই প্রাদুর্ভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের সমান। পরীক্ষাগুলো কী এবং এগুলোতে কী সমস্যা রয়েছে? পরীক্ষায় ভাইরাসের জেনেটিক কোড খোঁজা হয়। রোগীর কাছ থেকে একটি নমুনা নেয়া হয়। পরে পরীক্ষাগারে ভাইরাসের (যদি থাকে) জেনেটিক কোড বের করে তা বার বার কপি করা হয় যাতে তা শনাক্ত করা যায়। "আরটি-পিসিআর" নামে এই পরীক্ষা এইচআইভি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এবং এটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। "এগুলো খুবই শ্রমসাধ্য এবং জোরালো পরীক্ষা যাতে ভুলভাবে নেতিবাচক ফল (লো ফলস-নেগেটিভ) বা ভুলভাবে ইতিবাচক ফল (লো ফলস-পজিটিভ) আসার হার খুবই কম," বলেন কিংস কলেজ লন্ডনের ডা. নাথালি ম্যাকডারমট। কিন্তু ভুল কী হচ্ছে? রেডিওলোজী জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে ৫ জনের পরীক্ষায় আসে যে তাদের সংক্রমণ নেই। তবে ফুসফুসের স্ক্যান পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে তারা আক্রান্ত। কিন্তু পরে করা পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় যে, তারা আক্রান্ত। এ ধরণের আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ডা. লি ওয়েনলিয়াং-ও। যিনি এই রোগ সম্পর্কে প্রথম উদ্বেগ জানিয়েছিলেন এবং এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর চীনে নায়কোচিত মর্যাদা পেয়েছেন। গত ৩১শে জানুয়ারি সামাজিক মাধ্যমে নিজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ছবি পোস্ট করেন ডা. লি। তিনি বলেছিলেন যে, বিভিন্ন সময় পরীক্ষার ফলে আসে যে তিনি সংক্রমিত নন। কিন্তু শেষমেশ তিনি এতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। একই ধরণের ঘটনা সংক্রমণের শিকার অন্য দেশগুলো যেমন সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও পাওয়া যায়। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডা. ন্যান্সি মেসোনিয়ার বলেন, করোনাভাইরাসের অনেক পরীক্ষায় "অমীমাংসিত" ফল আসছে। কী ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে? এ সম্পর্কিত সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, পরীক্ষাগুলো যথার্থ কিন্তু পরীক্ষার সময় হয়তো রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকে না। চীনে এখন কাশি, ঠাণ্ডা এবং ফ্লু এর মৌসুম। আর রোগীরা হয়তো এসব অসুখকেও করোনাভাইরাস বলে ভুল করছে। "করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গগুলো শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে অন্য ভাইরাসগুলোর মতোই," বলেন ডা. ম্যাকডারমট। "প্রথমবার পরীক্ষার সময় হয়তো তারা সংক্রমণের শিকার হয়নি।" "পরে হয়তো সময়ের সাথে সাথে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং পরে পরীক্ষা করলে তা ধরা পড়ে। এটা একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।" আরেকটি কারণ হতে পারে যে, রোগীর হয়তো করোনাভাইরাস আছে, কিন্তু এটা এতটাই প্রাথমিক পর্যায়ে এবং সংখ্যায় এতো কম থাকে যে শনাক্ত করার জন্য নমুনায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যায় না। যদিও আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেনেটিক বস্তুগুলো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়, তবুও ন্যূনতম মাত্রায় থাকা জরুরী। "তবে ছয় বার পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে এই যুক্তি টেকে না," ডা. ম্যাকডারমট বলেন। "ইবোলার ক্ষেত্রে, নেতিবাচক ফল আসার পরও আমরা ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি ভাইরাসকে পর্যাপ্ত সময় দিতে।" অন্যদিকে, পরীক্ষা কিভাবে করা হচ্ছে তাতেও সমস্যা থাকতে পারে। নমুনা যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা করা না হয় তাহলে পরীক্ষা কোন কাজে আসবে না। এছাড়া যেসব চিকিৎসকরা পরীক্ষা করছেন তারা ভুল জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন কিনা তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে। এটা গলা এবং নাকের সংক্রমণের মতো নয় বরং এটা ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ। যাইহোক, যদি রোগীর কাশি থাকে, তাহলে ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব। দেহে ছোট মুকুটের মতো অংশ থাকার কারণে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয় করোনাভাইরাস। চূড়ান্ত বিকল্পটি হচ্ছে, নতুন করোনাভাইরাস সনাক্তের জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষাটি ত্রুটিযুক্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ভিত্তিক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: চীনে নতুন রোগী কমার দাবি, তবে সন্দিহান ডব্লিউএইচও কোয়ারেন্টিন শেষ কিন্তু নজরদারিতে আরো ১০দিন কেউ কি করোনাভাইরাসের টিকা বের করবে? করোনাভাইরাসে হওয়া রোগের নতুন নাম 'কোভিড-১৯' করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য পরীক্ষাটি করার জন্য গবেষকদের অবশ্যই প্রথমে ভাইরাসটির জেনেটিক কোডের অংশ পেতে হবে। এটিকে বলা হয় প্রাইমার। এটি একই ধরণের কোডের সাথে মিশে যায় এবং তাকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা সাধারণত ভাইরাসটির কোডের ওই অংশটিই আহরণের চেষ্টা করেন যেটি তারা মনে করেন যে বিভাজিত বা পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যদি প্রাইমারের সাথে রোগীর শরীরে থাকা ভাইরাসের মধ্যে মিল খুব কম থাকে তাহলে পরীক্ষার ফলাফলে আসবে যে সে ভাইরাসে আক্রান্ত নন। তাই এই মুহূর্তে বলা যাবে না যে, আসলে কি ঘটছে। "এটা খুব একটা পরিবর্তিত হবে না," ডা. ম্যাকডারমট বলেন। "তবে এটা নিশ্চিত যে, রোগীর মধ্যে যদি উপসর্গ থাকে তাহলে তাকে বার বার পরীক্ষা করাতে হবে।" | করোনাভাইরাসের পরীক্ষার পর মানুষকে ভুলভাবে জানানো হচ্ছে যে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন- এমন সন্দেহের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদ (ফাইল ছবি) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে একজন গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং এই সময়ে আরও কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমেও এই দাবি নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়। তারা বলছে, আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনের যে সাজা এখন আছে, সেটারই প্রয়োগ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না এবং সেকারণে ধর্ষণ বা নারী নিপীড়ন উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। রাজপথের বিক্ষোভ এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদে এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলা হয়েছে। আরও পড়ুন: মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরণের চরম হতাশা তৈরি হয়। এই আন্দোলনের মুখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করার এই দাবি সরকার বিবেচনা করছে। "জনগণের কাছ থেকেই তো দাবিটা উঠেছে। এখন এটাকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এই দাবিটা বিবেচনা করবো। তার কারণ হচ্ছে, আমরা ধর্ষণ বন্ধ করার জন্য যা যা করনীয়, সেটা করার চেষ্টা আমরা করবো। এই দাবির প্রেক্ষিতে আমরা যেটা বিবেচনা করবো, সেটা হচ্ছে, আবারও এই আইনটা সংশোধন করে এটা আনা যায় কিনা? "এই দাবির ভাল মন্দ দুই দিকই বিবেচনা করা হবে। সেজন্যই আমি বলেছি যে বিবেচনা করা হবে।" ধর্ষণ এবং নারী নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে আন্দোলনকারিদের বক্তব্য হচ্ছে, এখন আইনে ধর্ষণের যে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা রয়েছে, তা অপরাধ দমনে কঠিন কোন বার্তা দিতে পারছে না। এছাড়া বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই সাজাও হয় না। সেজন্য তারা মৃত্যুদণ্ডের দাবিকে সামনে আনছেন। ঢাকায় আন্দোলনকারী ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের একজন নেত্রী নাজিফা জান্নাত বলেছেন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে অপরাধ কমতে পারে বলে তারা বিশ্বাস করছেন। "ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়, এটা কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক নয়। কারণ আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে জামিন পেয়ে যায়। কিছুদিন পরই তারা জেল থেকে বের হয়ে যায়। এটা যদি করা যায় যে, ধর্ষণ করলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তখন হয়তো পুরোপুরি বন্ধ হবে না। ধর্ষণ বা নিপীড়ণ হবে। কিন্তু এটার মাত্রাটা অনেক কমে আসবে।" কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে- এমনটা মনে করে না মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে ধর্ষণের মামলা শেষ হতে দশ বছর বিশ বছরও লেগে যায় (প্রতিকী ছবি) তারা মনে করে, আইনের প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন এবং নির্যাতিতা নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা- এই বিষয়গুলোতে বড় সমস্যা রয়েছে। সে কারণে ধর্ষণের অভিযোগ বিচারের পর্যায়ে যেতেই অনেক সময় লেগে যায়। আবার নিম্ন আদালতে বিচার হওয়ার পর উচ্চ আদালতে মামলার জটে পরে যাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলছেন, গত ১০ বছরে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনশ'র বেশি মামলায় নির্যাতিত নারীদের আইনী সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময়ের কারণে এখনকার শাস্তিই নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। নীনা গোস্বামী মনে করেন, শাস্তি যাই থাকুক- তা বাস্তবায়ন করাটাই বড় বিষয়। "এখন আইনে যে শাস্তি আছে, সেটাই যেনো নিশ্চিত হয় এবং বাস্তবায়ন হয়। সেটা দেখতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমি এটা বলতে চাচ্ছি, আমাদের অনেকগুলো মামলা শুনানির অপেক্ষায় আছে। যার জন্য কিন্তু রায়ের বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা যে মামলাগুলো পরিচালনা করছি, সেগুলো থেকে আমাদের হাতে এখনও ২০১২ সালের বা ২০১৪ সালের মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোতে এখনও নিম্ন আদালতেও রায় হয়নি। নিম্ন আদালতে হলেও উচ্চ আদালতে গিয়েও অপেক্ষমান থাকতে হয়।" "১০, ১২ বা ১৪ বছর ঝুলে থাকলে কারও মনেও থাকে না। হাতেগোনা দু'একটি মামলা আছে যেটা খুব দ্রুততার সাথে শেষ হয়েছে।" বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে আইন সংস্কারের ব্যাপারে যে জোট রয়েছে, তাদের পক্ষ থেকেও এখনকার আইন প্রয়োগের বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই জোটের একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান করাটাই সমাধান নয়। মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্যাতিত নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া- এই বিষয়গুলোতে তারা কার্যকর পদক্ষেপ চাইছেন। মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে মানবাধিকার কর্মীদের যে প্রশ্ন রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সাথেও আলোচনা করা হবে। | বাংলাদেশে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ব্যস্ত নগরী টোকিও: 'সব চেয়ে বয়স্ক' ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে মৃত। কিন্তু স্থানীয় কর্মকর্তারা যখন তাঁর ১১১তম জন্মদিনে অভিনন্দন জানাতে মি: কাটোর বাসায় গেলেন, তখন তাদের জন্য বড় মাপের ধাক্কা অপেক্ষা করছিল। কর্মকর্তারা মি: কাটোকে তাঁর বিছানায় খুঁজে পেলেন – মৃত এবং মমি করা। কর্মকর্তারা বলেন, তিনি সম্ভবত ৩০ বছর ধরে মৃত। টোকিও-র আদাচি এলাকায় মি: কাটোর বাসায় যখন তাঁর নাতনী বলেন তার দাদা কারো সাথে দেখা করতে চান না, তখন কর্মকর্তাদের মনে সন্দেহ জাগে। পুলিশ এখন পরিবারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। স্থানীয় সেবা কর্মকর্তারা এই বছরের শুরুর দিকে মি: কাটোর সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। আদাচি ওয়ার্ড কর্মকর্তা টোমাকো ইয়ামাটসু বলেন, যখনই তারা মি: কাটোর বাসায় গিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাদের রীতিমত ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার কর্মকর্তারা পুলিশ ডেকে নিয়ে আসে, যারা বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বিছানায় শোয়া অবস্থায় একটি মমি করা মৃতদেহ খুঁজে পায়, যাকে কর্মকর্তারা মি: কাটো বলেই ধারনা করছেন। মি: কাটোর আত্মীয়রা স্থানীয় পত্রিকা জিজি প্রেস-কে বলেন তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে নিজের ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। “তিনি একজন জীবন্ত বুদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন”, মি: কাটোর আত্মীয়রা বলেন। তবে ছ’বছর আগে মি: কাটোর স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিপত্নীক পেনসন হিসেবে এক লাখেরও বেশি ডলারের সম পরিমাণ অর্থ তাঁর পরিবার মি: কাটোর ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেয়েছে। কি: কাটোর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি কিছু অর্থ তুলেও নেওয়া হয়েছে। পেনসন ফান্ডের কর্মকর্তারা অনেক বছর ধরে মি: কাটোর সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি। “তাঁর পরিবার নিশ্চয় জানতো মি: কাটো বহু বছর ধরে মৃত, কিন্তু তারা এমন ভাব দেখিয়েছে যেন তেমন কিছুই ঘটেনি”, টোকিও নগর কর্মকর্তা ইয়াকুটা মুরোই বলেন। “ব্যাপারটা বেশ ভূতুরে”, তিনি বলেন। | জাপানের রাজধানী টোকিও-র বাসিন্দা সোগেন কাটোকে নগরের সব চেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ধারণা করা হতো। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্: প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন'র জন্য কিম জং-আনের উপহার। দুই নেতার আনুষ্ঠানিক করমর্দনের পর হাল্কা কথা-বার্তা এবং হাস্যরসের সুযোগ ছিল। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মি: কিম বলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন'র জন্য তার দেশের বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে এসেছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মি: কিম বলেন: ''আমি খবরের দিকে নজর রাখছিলাম এবং দেখলাম লোকজন খাবার-দাবার নিয়ে অনেক কথা বলছে। তাই আমি প্রেসিডেন্ট মুনের জন্য পিওংইয়াং থেকে ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে এসেছি।'' আরেকটি অনুবাদে বলা হয়, তিনি বলেন এই নুডলস্ তারা 'বহু দূর' থেকে নিয়ে এসেছেন ... কিন্তু তারপরই কৌতুক করে বলেন, ''আহা, আমাদের হয়তো এত দূর বলা উচিত না''। তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বিশাল কোন ব্যাপার না হলেও, দক্ষিণ কোরিয়ায় পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্-এর জন্য এক রকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণের ঠাণ্ডা নুডলস্-এর দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে, এবং সামাজিক মাধ্যমে 'পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্' নিয়ে কথা-বার্তা শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠক: কৃতিত্ব কি ট্রাম্পের? উত্তর কোরিয়া কেন পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে? কোরিয়া যুদ্ধে '২১ দিনে মারা যাবে ২০ লাখ লোক' কিম জং আন বাজরা দিয়ে তৈরি 'পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং' ঠাণ্ডা নুডলস্ মি: কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্য নিয়ে এসেছেন, এবং কোরিয়া হেরাল্ড পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী এই নাম টুইটারে ট্রেন্ডিং শব্দগুলোর শীর্ষে চলে যায়। একজন টুইট করেছেন, ''কিম জং-আন ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে জোক করেছেন। এখন সেটাই শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি ট্রেন্ড করছে। হোয়াট দ্য ...'' আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে টুইট করেছেন, ''দুই কোরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা ঘটছে আর দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঠ-পর্যায়ে প্রতীকী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্ (#ন্যাংমিয়াং)-এর জন্য লম্বা লাইন। ভাবলাম বিষয়টি বেশ মজাদার।'' এই উন্মাদনা সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব রেস্টুরেন্টের মেনুতে এই ঠান্ডা নুডলস্ রয়েছে, সেখানে লাইন দিয়ে পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক: নুডলস্ দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। সাংজু হান ইন্সটাগ্রামে একটি সেলফি দিয়ে লিখেছেন, ''দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক উদযাপন করার জন্য আমি লাঞ্চে ঠাণ্ডা নুডলস্ খেয়েছি।'' ''আমি যখন আসি তখন এখানে লম্বা লাইন ছিল। রেস্টুরেন্টে বসার কোন জায়গা ছিল না। ঠাণ্ডা নুডলস্ খাওয়ার জন্য আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস সবাই একই কারণে এই রেস্টুরেন্টে এসেছেন,'' মি: সাংজু বিবিসিকে বলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা এক রিপোর্টে বলে, পূর্ব সোলে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে এত ভিড় যে গাড়ি পার্ক করার জায়গা ছিল না। সোলের আরেকটি রেস্টুরেন্টে অপেক্ষমাণ লোকজন তাদের নাম ডাকার সাথে সাথে চিৎকার করে বলে উঠছে, ''এবার পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়া যাক, কিম জং-আনের সাথে খেতে হবে!'' | উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আন যুদ্ধবিরতি রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তিনি আসল তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে একটি মন্তব্য দিয়ে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নদী থেকে টেনে তোলার পর সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি ** এই প্রতিবেদনটির কোন কোন অংশ আপনার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝ নদী থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি টেনে পারের দিকে নিয়ে আসা হয়। সেসময় আশেপাশে ভিড় করে স্থানীয়রা। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি লঞ্চটি তোলার পর সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্রেন দিয়ে উল্টো করে ঝোলানো লঞ্চটিতে মানুষের দেহ আটকে আছে। বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান গোলাম মো. সাদেক পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টেনে তোলার পর লঞ্চটি থেকে ২১টি মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। গতকাল আরো ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। লঞ্চটির ভেতরে আর কোন মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আরো পড়ুন: সাবিত আল হাসান নামে এই ছোট লঞ্চটি গতকাল নারায়ণগঞ্জের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। মি. সাদেক বলছেন, মালবাহী জাহাজটিকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে লঞ্চটিকে ধাক্কা দেবার এবং ডুবে যাওয়ার দৃশ্য সম্বলিত একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। এতে দেখা যায় মালবাহি জাহাজটি নদীর মাঝ বরাবর দিয়ে ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বেশ কিছুটা দূর নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে নদীতে নিমজ্জিত হয় লঞ্চটি। ভিডিওটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, লঞ্চটিতে ৪৫ জনের মত যাত্রী ছিল। এর মধ্যে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন সাঁতরে নদীর তীরে এসে প্রাণ রক্ষা করেন। মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হজস্তান্তর করা হবে। গোলাম মো. সাদেক বলেন, "এ ধরণের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনেক সময় কয়েক দিন পর মরদেহ ভেসে উঠে। সেক্ষেত্রে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা গেলে তা প্রশাসনকে জানাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে।" রবিবার বিকেলে ডুবে যাওয়া ছোট লঞ্চটি উদ্ধারে তৎপরতা চলছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারী জানিয়েছিলেন, ভোররাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও লঞ্চটিকে অর্ধেকের বেশি তোলা যায়নি। কর্মকর্তারা বলছিলেন, 'টেকনিক্যাল' সমস্যার কারণে লঞ্চটিকে কিছুদূর ওঠানোর পর আবার ডুবে যাচ্ছিল। সকাল থেকে লঞ্চটি আবার টেনে তোলার কাজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুরন্তের আঠারো ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা সাড়ে বারোটার দিকে লঞ্চটিকে টেনে তোলা হয়। স্থানীয় টেলিভিশনে সরাসরি এই উদ্ধার অভিযান দেখা যায়। তুলে আনার সময় একটি ক্রেন থেকে উল্টো করে ঝুলে থাকতে দেখা যাচ্ছিল লঞ্চটিকে। লঞ্চটিকে উদ্ধার করতে নিয়োগ করা হয়েছিল দমকল, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে। উদ্ধার চলাকালে নদীর দুই তীরে বহু উৎসুক মানুষ জড়ো হয়। এদের অনেকেই ছিলেন নিখোঁজদের স্বজন। তারা হাহাকার করছিলেন। স্বজনেরা অভিযোগ করছিলেন, উদ্ধার অভিযানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তারা এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোঁড়ে। শীতলক্ষ্যা নদীতে কয়লাঘাট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সেতুর কাছে লঞ্চটি ডুবে যায়। এদিকে, প্রশাসনের বক্তব্য লকডাউন উপেক্ষা করে জড়ো হওয়া এসব মানুষ যেমনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে, তেমনি উদ্ধার তৎপরতাও কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে অনেক মানুষ ভিড় করায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, ঘটনাস্থলে বেড়েছে নিখোঁজদের স্বজনদের উপস্থিতিও। তাদের অভিযোগ, লঞ্চটি উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। রোববার সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টার দিকে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়, এবং এ সময় নদীতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ। | বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ১৮ ঘণ্টা পর টেনে তোলার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। লঞ্চটির ভেতর থেকে ২১টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এই লঞ্চডুবিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ জনে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির আগমনের বিরোধিতা করে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মসজিদের পাশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সংগঠনটির একাংশের কর্মীরা। তাঁর ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত সংগঠনটির একাংশের বিক্ষোভের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রগুলো থেকে জানা গিয়েছে। তাঁর যোগ না দেওয়ার ব্যাপারটি সংশ্লিষ্টমহল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নি মুসলিমদের বৃহত্তম সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা সাদ এখন কড়া পুলিশী পাহাড়ায় কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করছেন। তার আগমনের বিরোধিতা করে আজ সকালে রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মসজিদে বিক্ষোভ শুরু করেন তাবলীগ জামাতের একাংশের বেশ কয়েকশো অনুসারী। তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির আগমনের বিরোধিতা করে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মসজিদের পাশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সংগঠনটির একাংশের কর্মীরা। পরে পুলিশের বাধায় প্রথমে প্রেসক্লাবের সামনে এবং এখন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। সেখানে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন মাওলানা সাদকে নিয়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে তাকেও এখনো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। যেহেতু মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এসেছেন, তার নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পুলিশের, বলছিলেন মি: আসাদুজ্জামান। তিনি আগামীকাল টঙ্গীতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিবেন কি-না তা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুই অংশের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আলোচনা হয়েছে, পুলিশ কমিশনার বলেছেন। আরো পড়ুন: মাওলানা সাদকে ঘিরে তাবলীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রোহিঙ্গা হত্যার কথা স্বীকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ১/১১: পর্দার আড়ালে কী ঘটেছিল? বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল দিল্লি থেকে মাওলানা সাদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাবলীগ জামাতের একাংশের কর্মীরা বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের মুখে তাঁকে বিমানবন্দরের ভেতরেই কয়েক ঘণ্টা ধরে অবস্থান করতে হয়। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের পাহারায় মাওলানা সাদকে বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তাঁকে রাখা হয়েছে। | শেষ পর্যন্ত আগামীকাল শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন না দিল্লি থেকে আসা তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র শহর মক্কায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভ্রমণ করেন গত সপ্তাহেই বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। ওমরাহ হজ করার জন্য জমা নেয়া অর্থ এজেন্সির মাধ্যমে ফেরত দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া পর্যটন ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ না করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আরো পড়ুন: সৌদিতে ওমরাহ মানা বিদেশীদের, কিছু দেশের জন্য পর্যটন ভিসা স্থগিত বাংলাদেশ থেকে কোন ফ্লাইট নিচ্ছে না ওমরাহ যাত্রীদের করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য সৌদি আরবের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি পবিত্র নগরী মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। হজের পর ওমরাহকে প্রধান ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে দেখা হয়। যদিও হজের অনেক অনুষঙ্গ এখানে রয়েছে, তবে এটি কিছুটা সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। মক্কা এবং মদিনা হচ্ছে ইসলামের অনুসারীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুটি স্থান। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্ম মক্কা নগরীতে। আর তাঁর কবর মদিনা শহরে। তাই মদিনায়ও প্রচুর মুসলমান ভ্রমণ করেন ধর্মীয় কারণে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাময়িকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে কতদিন এসব নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ থাকবে, সেটি বলা হয়নি। গত সোমবার কোভিড-নাইনটিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। ওই নাগরিক কিছুদিন আগে ইরান ভ্রমণ করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানেই সবচেয়ে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কতটা, কী করবেন? দিল্লিতে যেভাবে মুসলমানদের বাড়িঘর টার্গেট করা হয় ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বিশ্বে ঔষধ সঙ্কটের আশঙ্কা কুয়েতগামী বাংলাদেশিদের সামনে নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা | সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। নতুন ধরণের করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সতর্কতা হিসাবে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | 'ইউএসএস জন ম্যাককেইন' সিঙ্গাপুরের পূর্ব দিকের বন্দরে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জানা যাচ্ছে, রণতরী 'ইউএসএস জন ম্যাককেইন' সিঙ্গাপুরের পূর্ব দিকের বন্দরে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং এ সময় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী তেলের ট্যাংকার আলনিক এমসির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য সমুদ্রের বিশাল এলাকাজুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ওই রণতরীর একপাশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, গত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ডেস্ট্রয়ারের সঙ্গে কোনো তেলবাহী ট্যাংকারের এটি দ্বিতীয় সংঘর্ষের ঘটনা। এর আগে, গত জুন মাসে ফিলিপাইনের তেলবাহী এক ট্যাংকারকে ধাক্কা দেয় 'ইউএসএস ফিটজেরাল্ড'। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ মার্কিন নাবিক নিহত হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইটালির রাস্তা পরিষ্কার করছে নাইজেরিয়ার অভিবাসীরা 'যেথায় কাজ আছে, সেথাই চলি যাবো' পাঞ্জাবে কোরানের পাতা পোড়ানোর অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা | যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের উপকূলে একটি তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে মার্কিন রণতরীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে এবং অন্তত ১০ নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | 'সবুজ-সাথী জুটি' কিন্তু নব্বই এর দশক পর্যন্ত পুরো বিশ্বের মত বাংলাদেশেও যা ছিল নতুন বন্ধুত্ব করার এক মাধ্যম। ১৯৯৪ সালে কিশোরগঞ্জের মেয়ে উম্মে সালমা সাথী দৈনিক পত্রিকায় পত্রমিতালীর বিজ্ঞাপন দেখে চিঠি লিখেছিলেন খুলনার রফিকুল ইসলাম সবুজের কাছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে এখনও কি চিঠি লিখে মানুষ? বিলি না করে চিঠি ফেলে রাখতেন যে পোস্টমাস্টার হাতে চিঠি লেখার অভ্যাস কি আর ফেরানো যাবে? "পেপার পড়তাম, সেইখানে পত্রমিতালীর বিজ্ঞাপন থাকত, তো বান্ধবীকে বলেছিলাম এসএসসিতে ফার্স্ট ডিভিশন পেলে পত্রমিতালী করবো। সেই মত ভোরের কাগজ পেপারে ঠিকানা দেখে আমি চিঠি লিখেছিলাম। দূর দেখে লিখেছিলাম, আমি ভৈরবের মেয়ে, আর ওর বাড়ি খুলনায়, যেন জীবনেও আসতে না পারে! তাহলে বাড়ির কেউ জানতে পারবে না।" পত্র-মিতালী, আজকের দিনে যা প্রায় অচেনা একটা ব্যবস্থা ২৫ দিন পর চিঠির জবাব এসেছিল সাথীর কাছে। এদিকে, মিঃ ইসলাম যখন বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন, তিনি ভেবে রেখেছিলেন প্রথম যার কাছ থেকে চিঠি আসবে, সেই হবে তার পত্রমিতা, ছেলে বা মেয়ে যেই লিখুক। বন্ধু হয়েছিলেন তারা, এরপর ক্রমে বন্ধুত্ব থেকে প্রণয় এবং পরিণয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গ্রেনেড হামলা মামলা: যেভাবে ঘটনার শুরু থেকে শেষ নারীদের হত্যা করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন দম্পতি যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিএনপির সাথে অন্যদের 'ঐক্য' আটকে আছে যে কারণে "আমি দুষ্টামীর ছলে বন্ধুদের সাথে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম, আমি তখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। চিঠি পেয়ে জবাব দেই। এরপর শুরু। এর আড়াই বছর পর আমি ভৈরব গিয়ে দেখা করি। তারো এক বছর পরে আমরা পরস্পরকে ভালোবাসার কথা বলি।" প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল? সাথী জানাচ্ছেন, "এত বছর ধরে চেনাজানা একজনকে মানা কীভাবে করবো? কষ্ট পাবে না? সেজন্য 'হ্যা' করে দিয়েছিলাম।" অদিতি ফাল্গুনী "ভাবি নাই বিয়ে হবে এতদূরে! কিন্তু এর দেড় বছর পরে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বিশ বছর চলছে আমাদের।" হাসতে হাসতে জানান সাথী। 'সবুজ-সাথী জুটি' জানিয়েছেন, একেকটি চিঠি আসার মাঝখানে যে সময়ের দূরত্ব থাকে, তার উত্তেজনা ছিল অপরিসীম, তার সঙ্গে এখনকার সামাজিক মাধ্যমে হওয়া বন্ধুত্বের কোন তুলনাই হয় না। বন্ধুত্বের প্রত্যাশায় বিজ্ঞাপন ১৯৮০ ও ৯০ এর দশকে বাংলাদেশের প্রায় সব দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই বন্ধুত্বের প্রত্যাশায় নাম ও ঠিকানা দিয়ে ছোট ছোট বিজ্ঞাপন ছাপা হতো। সব পত্রমিতাই প্রণয় ও পরিণয়ে গড়াতো না, কেউ কেউ হয়তো রয়ে গেছেন অদেখা-অজানাই। কিন্তু সেই সময়ের বিজ্ঞাপনের একটি বড় অংশই থাকতো এ ধরণের বিজ্ঞাপন, বিশেষ করে ম্যাগাজিনগুলোতে, বলছেন দৈনিক প্রথম আলোর বিজ্ঞাপন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার রশীদুর রহমান, যিনি গত ২৬ বছর ধরে বিজ্ঞাপন বিভাগে কাজ করছেন। "দৈনিক পত্রিকায় একটু কমই হোত, কিন্তু ম্যাগাজিনগুলোতে বেশি থাকতো। কখনো আধা পৃষ্ঠা পুরোই বিজ্ঞাপন থাকতো। সেসময় সন্ধানী বা বিচিত্রার মত নামী ম্যাগাজিন ছিল, তাতেও থাকতো।" একটা ট্যাবলয়েড ছিল, তাতে প্রচুর এ ধরণের বিজ্ঞাপন থাকতো। বিশেষত ছাত্রছাত্রীরাই এমন বিজ্ঞাপন দিতে আসতো বেশি।" কেমন ছিল সেই সময় প্রযুক্তির কারণে এখন মানুষের মধ্যে হাতে লেখা চিঠির প্রবণতা অনেক কমে গেছে তবে চিঠি লেখা নিয়ে, বিশেষ করে পত্রমিতালী নিয়ে পুরো বিশ্বেই নানা ধরনের গল্প আছে। লেখক অদিতি ফাল্গুনী মনে করেন, অদেখা অজানার প্রতি আগ্রহ থেকেই মানুষ বন্ধুত্বের সন্ধান করতো প্রযুক্তিগত ব্যাপক উন্নতি সাধনের আগ পর্যন্ত। তার কাছে এটা মূলত তরুণরাই করত, কিন্তু অন্য বয়সের মানুষও ছিল। "আমরা যে সময়টাতে বড় হয়েছি, আমাদের চারপাশে এমন প্রচুর ঘটনা দেখেছি। বড় ভাইবোন তাদের বন্ধুবান্ধব অনেকেরই পত্রমিতা ছিল। অজানা অদেখা যে সে চিরসুন্দর, চির রহস্যময়। তার টান একটা ব্যপার। তবে, সেসময় চিঠি লিখতে লিখতে ছেলেমেয়েরা দুটি উদ্ধৃতি দিত, তিনটা কবিতা পড়তো, হাতের লেখা সন্দুর করার একটা চেষ্টা থাকতো।" পত্রমিতালীর মত এই বন্ধুত্বের বাহন ছিল ডাক বিভাগ। জেলা থেকে জেলায়, কখনো ভিন দেশেও বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে যেত ডাক হরকরারা। প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষকে এগিয়ে দিয়েছে এক দ্রুতগামী জীবনে, যেখানে হৃদয়ের উষ্ণ আবেগ নিয়ে আসা একেকটি চিঠি এখন কেবলই এক নস্টালজিয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'ফিসফিসানি' ছেড়ে যখন সরব নারী সাংবাদিকরা বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল খোদ ইন্টারপোলের প্রধানই কেন গুম হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি | পারিবারে ও বন্ধুমহলে তাদেরকে 'সবুজ-সাথী জুটি' বলা হয়। বিয়ের আগেই তাদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল, পত্রমিতালীর মাধ্যমে। আজকের দিনে যা প্রায় অচেনা একটা ব্যবস্থা। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীর। রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সেখান থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৫এ হিসেবে পরিচিত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি প্রথম থেকেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উপত্যকাটি এবং দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির বিবাদের অন্যতম কারণ। বিজেপি বহু আগে থেকেই এই আইনটি বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় সংবিধান কাশ্মীরকে যে বিশেষ মর্যাদা দেয় তার অন্যতম ভিত্তি এই আইন। ঐ অনুচ্ছেদের অন্তর্ভূক্ত অনুচ্ছেদ ৩৭০ নামে পরিচিত বিধানটি ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিল ভারত কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা, নেতারা গৃহবন্দী, বন্ধ স্কুল কলেজ কী ঘটতে চলেছে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে? ভারত শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে বেসামরিক মানুষের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাত নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। অনুচ্ছেদ ৩৫এ'তে কী বলা আছে? সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ ভারত শাসিত কাশ্মীরের আইন নিয়ন্ত্রকদের রাজ্যের 'স্থায়ী নাগরিক' কারা তা সংজ্ঞায়িত করতে এবং কেন তারা ভারতের অন্য নাগরিকদের চেয়ে তা নির্দিষ্ট করার অনুমতি দেয়। জম্মু এবং লাদাখ সহ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুরো অঞ্চলেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। তালিকাভূক্ত সকল নাগরিককে একটি স্থায়ী অধিবাসী সার্টিফিকেট দেয়া হয়, যা তাদের কর্মসংস্থান, বৃত্তি এবং অন্যান্য সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সুবিধাটি তারা পেতো, তা হলো কাশ্মীরে শুধুমাত্র সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদেরই জমির মালিকানা পাওয়ার অধিকার - যে আইনের কারণে সেখানে শুধু কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ঘরবাড়ির মালিকানা পেতে পারতো। কারা এই অনুচ্ছেদের কারণে সুবিধা পেতো? এই আইনটি যেদিন থেকে কার্যকর হয়, ১৪ই মে ১৯৫৪, সেদিন থেকে ঐ রাজ্যে যারা বসবাস করছেন এবং যারা ঐ তারিখের পর থেকে অন্তত ১০ বছর কাশ্মীরে বাস করছেন - তাদেরকে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে স্থায়ী বাসিন্দাদের এই সংজ্ঞা রাজ্যের আইন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দুই-তৃতীয়াংশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখতো। কীভাবে প্রবর্তিত হলো এই আইন? ১৯২৭ সালে কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং প্রথমবার এই আইন প্রবর্তন করেন। উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাব থেকে কাশ্মীরে মানুষ আসা বন্ধ করতে এই আইন প্রবর্তন করেন তিনি। ধারণা করা হয়, তৎকালীন প্রভাবশালী কাশ্মীরি হিন্দুদের দাবি অনুযায়ী তিনি ঐ সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের কয়েকটি অংশে এখনও এই আইনটি কার্যকর রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু: জ্বর নেমে গেলে রোগীর পরিচর্যা কেমন হবে ৮০ টাকার মশা প্রতিরোধক ক্রিম বিক্রি ৫০০ টাকায় আরো একটি বিদেশি ট্যাংকার ইরানের হাতে আটক ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্রোহ প্রকাশ করে আসছে কাশ্মীরিরা ভারতে বিলোপ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই আইনটি যেভাবে কার্যকর ছিল, তা ১৯৫৪ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল। অনুচ্ছেদ ৩৭০ এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরেও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়। ১৯৫৬ সালে যখন জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান তৈরি হয়, সেসময় দুই বছরের পুরনো স্থায়ী বাসিন্দা আইনকে অনুমোদন করে তা। এই অনুচ্ছেদের তাৎপর্য কী? এই আইনটি কাশ্মীর রাজ্যের ভৌগোলিক বিশেষত্বকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে আসছিল। যেহেতু ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য ভারত শাসিত কাশ্মীর, অনেক কাশ্মীরির সন্দেহ যে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো অন্যান্য রাজ্যের হিন্দুদের কাশ্মীরে গিয়ে বসবাসের জন্য উৎসাহ দেয়। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সতর্ক করেছিলেন যে, কাশ্মীরের সাখে ভারতের ভঙ্গুর সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে এই আইন বাতিল করা কাশ্মীরিদের সাথে ভারতের সম্পর্কের ইতিহাস খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে এবিষয়টি কাশ্মীরিরা কখনোই ভালভাবে নেয়নি। ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে সশস্ত্র অভ্যুত্থান হয়ে আসছে। ভারত সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তান ঐ অঞ্চলে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে হতে থাকা অস্থিরতা উস্কে দেয় - যেই অভিযোগ ইসলামাবাদ সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরের পুরো অংশের মালিকানা দাবি করলেও উভয় দেশই রাজ্যটির আলাদা আলাদা অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ১৯৪৭ সালে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রক্ষমতা সম্পন্ন দুই দেশ নিজেদের মধ্যে দু'বার যুদ্ধ করেছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে একাধিকবার ছোট ছোট সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কী আছে এই কাশ্মীর সঙ্কটের মূলে যা দুই দেশকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে? এই আইনের সমর্থকরা কী বলছেন? তাদের বক্তব্য, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রক্ষায় ভারত সরকার যে প্রতিশ্রুতি করেছিল, এই আইন বাতিল করে দিলে সেই প্রতিশ্রুতিকে অবমাননা করা হবে। তারা আরো মনে করেন, এর ফলে বাইরে থেকে মানুষ গিয়ে কাশ্মীর রাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করতে পারে, যা ঐ অঞ্চলের জনতাত্বিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট করবে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সতর্ক করেছিলেন যে, এই আইনের বিলোপ কাশ্মীরের সাখে ভারতের ভঙ্গুর সম্পর্ক 'পুরোপুরি ধ্বংস করে দিবে'। | ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার পর ঐ এলাকায় মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | আরও পাঁচ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গের শাসনভার পাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জী। এটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিরও কারণ, আবার অস্বস্তিরও কারণ। বলছেন ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী। অস্বস্তি: গৌতম লাহিড়ী বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করেন। ফলে তার জয়ের ফলে বাংলাদেশে একটা আশঙ্কা হয়তো তৈরি পারে যে, তিনি কি সেই চুক্তির এখনো বিরোধিতা করে যাবেন? ''কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর যেটা যুক্তি, তিস্তার যেখান উৎস, সিকিমে অনেকগুলো বাধ নির্মাণ হওয়ার ফলে তিস্তায় পানি প্রবাহ অনেক কমে গেছে। ফলে পানির সঞ্চার আরও বাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া উচিৎ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নদী উপত্যকা পরিচালন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে একটি প্রাথমিক আলোচনা চলছে। পানির সঞ্চার বেশি হলে মমতা ব্যানার্জী হয়তো আর আপত্তি করবেন না।'' বলছেন দিল্লির এই সিনিয়র সাংবাদিক। তবে বাংলাদেশে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও তিস্তা ইস্যুতে রাতারাতি কোন পরিবর্তন হতো বলে তার মনে হয় না। ''অনেকে ভাবতে পারেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এক ধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা চুক্তি হয়তো হয়ে যেতো বলে তাদের ধারণা"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মমতা ব্যানার্জী : কীভাবে তার উত্থান, কী তার সাফল্যের চাবিকাঠি? 'বাংলার নিজের মেয়ে'র এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে টক্কর মমতা ব্যানার্জির উত্থান যে নন্দীগ্রামে সেখানে কেমন হল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধর্ম কেন এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ? ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির উত্থান কীভাবে? পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় আছে মমতা ব্যানর্জিী তৃণমূল কংগ্রেস দল কিন্তু তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সমস্যা কিন্তু পানির সমস্যা নয়। সমস্যা হলো, তিস্তার পানি অভ্যন্তরীণ ভোটের রাজনীতির একটি বিষয়ে পরিণত করা, বলছেন মি. হোসেন। ''সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে মার্জিনাল ভোট নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও, তারা কি প্রথমেই একটি অস্ত্র তুলে দিতো মমতার হাতে যে, দেখো-আমি ছিলাম, আমি তোমাদের তিস্তার পানি রক্ষা করেছি, বিজেপি এসেই এটা দিয়ে দিয়েছে? কাজেই আমার মনে হয় না, ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেই যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হতো, আমি সেটা মনে করি না।'' তিনি মনে করছেন, কেন্দ্রের সরকার আর পশ্চিমবঙ্গে আগের মতোই একই শাসক থাকায় বর্তমান পরিস্থিতির খুব একটা অদল বদল ঘটবে না। ''আমি মনে করি না, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, তাতে এই নির্বাচনের ফলাফল বড় কোন ভূমিকা রাখবে। পরিবর্তন তো কিছু হয়নি। মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ছিলেন, তিনিই আসছেন, বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল, তারাই থাকছে"। "সত্যিকার অর্থে স্ট্যাটাস তো একই থাকছে'', বলছেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় মমতা ব্যানার্জীকে বর্ণনা করছে 'বাংলার নিজের মেয়ে' বলে স্বস্তি: দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বলছেন, মমতা ব্যানার্জীর বিজয় বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিরও কারণ। ''বিজেপি সরকার বলেছিল, তারা পশ্চিমবঙ্গে জয়ী হয়ে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারা সিএএ বা সিটিজেনশীপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট পাস করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন। ফলে একটা বিষয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত থাকবে যে, সিএএ বা এনআরসি- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও অন্তত এই দুইটি বিষয় বাস্তবায়ন হচ্ছে না।'' বলছেন মি. লাহিড়ী। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বা অন্য সম্পর্কের ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জী ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বলেই তিনি মনে করছেন। এই বিষয়ে দ্বিমত নেই তৌহিদ হোসেনেরও। ''বিজেপিতো আসাম, ত্রিপুরায় এর মধ্যেই ক্ষমতা তো পেয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষমতায় এলে এখানে কম্যুনাল (সাম্প্রদায়িক) কিছু আশঙ্কা বাংলাদেশের তৈরি হতে পারতো, সেটা হয়নি, এটা বাংলাদেশের জন্য বেশ একটি স্বস্তির বিষয়।'' বলছেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। ২০১৭ সালে দিল্লির এক অনুষ্ঠানে একই ফ্রেমে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা ব্যানার্জী। গত মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়াদের ভোট টানার জন্য গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দীতে নরেন্দ্র মোদী এক সভা করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আর কখনো প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ঢাকায় যাবেন না। শঙ্কা: ভারতের সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী একটি শঙ্কার কথাও বলছেন। কিছুদিন আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময়কার কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। সেই সময় নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে এসে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তা নিয়ে নির্বাচনী জনসভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বলছেন, ''তাকে যেভাবে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা করেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট আদায়ের জন্য, রাজনৈতিক কর্মসূচী করার জন্য, ফলে মমতা ব্যানার্জী ক্ষুব্ধ হয়ে একটা মন্তব্য করেছিলেন, যতদিন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকবে, আমি তার সঙ্গে ঢাকায় যাবো না।'' 'ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যে যৌথ প্রকল্পগুলোর কথা চলছে, সেখানে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এখন সত্যিই যদি তিনি সেই ধরনের অসহযোগিতা করেন, তাহলে রাজনৈতিক কারণে একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে'', বিবিসিকে বলছিলেন গৌতম লাহিড়ী। তবে মি. লাহিড়ী মনে করেন, ''এবারের যে বিপুল জয়, তাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ও মনে করেন, তার ওপর অনেক দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। ফলে তাকে এমনকি জাতীয় স্তরের নেত্রী হতে গেলে সেই ধরনের একটা উদার মনোভাব দেখাতে হতে পারে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে বাড়ছে লকডাউন, চলবে ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটে হেরে যাওয়া মমতা ব্যানার্জী কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন? আটকে রাখা সিংহের প্রজনন বন্ধ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ভিক্ষার জন্য অপহরণ: যেভাবে উদ্ধার হল দুই বছরের শিশু | পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিপুল ব্যবধানে পিছনে ফেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় হওয়া বাংলাদেশের জন্য কী অর্থ বহন করে? |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সেনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের একটি সমঝোতায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে 'সহিংসতায় উস্কানি' দেয়ার অভিযোগে অভিশংসন আর্টিকেলটি সোমবার সেনেটে পাঠাবে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ফেব্রুয়ারির আট তারিখের আগে এই বিষয়ে শুনানি শুরু হবে না। কারণ মি. ট্রাম্পের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য তার আইনজীবীদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে গত ৬ই জানুয়ারির ভয়াবহ সহিংসতার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়ী করছে ডেমোক্র্যাটরা। ক্যাপিটলে সহিংসতার জন্য গত সপ্তাহে মি. ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত করেছে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। ফলে এখন সেনেটে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে তিনি হবেন সেনেটে বিচার হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম ব্যক্তি। এর আগে আর কোন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে আর কোন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আরও পড়তে পারেন: ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব এবং 'ব্র্যাণ্ড আমেরিকার' সর্বনাশ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরু হবার সময়ে সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের এই বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ঠিক প্রায় এক বছর পরে, যখন সেনেট তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। জো বাইডেন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের ওপর চাপ দেয়ার অভিযোগ ওঠায় সেবার তাকে অভিশংসিত করেছিল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। মি. ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত বুধবার এবং তিনি জো বাইডেনের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে গেছেন। সেনেটের ডেমোক্র্যাট শীর্ষ নেতা চাক শুমার শুক্রবার বলেছেন যে, অভিশংসনের নিবন্ধটি সোমবার সেনেটে তুলে ধরা হবে। 'ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের ব্যাপারে একটি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেনেট। এটা হবে পুরাদস্তুর নিরপেক্ষ বিচার কার্যক্রম,'' সেনেটে বলেছেন মি. শুমার। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের কারণে তার অভিশংসন প্রক্রিয়া চলছে। সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কাছে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যেন তারা 'শান্তিপূর্ণ ও দেশপ্রেমিক' ভাবে তাদের কণ্ঠ তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন যেন তার 'ভয়াবহভাবে লড়াই করেন'। সেনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলের অফিস জানিয়েছে, বিচার কার্যক্রম শুরুর আগে মি. ট্রাম্পকে আরো কিছু সময় দেয়ার জন্য তিনি যে অনুরোধ করেছিলেন, মি. শুমার সেই অনুরোধ রক্ষা করায় তিনি খুশী হয়েছেন। এখন সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার কার্যক্রম শুরু হবে নয়ই ফেব্রুয়ারি। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলেও সেটা সেনেটে শুনানির পর দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস হতে হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গ্রামীন এলাকায় বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, লেনদেন কীভাবে হয়? কার্টুন, বাউল গান এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভয়ের সংস্কৃতির অভিযোগ কেন উঠছে যে নারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পুরুষ কেন ধর্ষণ করে’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কিভাবে | যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন বিচার শুরু হবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে, তারা সেখানে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই আব্দুল কাদের মির্জার সমর্থক এবং তার বিরোধী গ্রুপের সংঘর্ষের পর দু'পক্ষই ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, আব্দুল কাদের মির্জা অনেকদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার এসব বক্তব্যে বিরুদ্ধে সেখানকার আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বাধীন অংশ শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিহাট বাজারে মিছিল করে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মি: হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। তবে কয়েকজনের যে গুলিতে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেছেন, পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি করেছে। গত মাসে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাদের মির্জা। সেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই তিনি নোয়াখালী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ এমপি এবং নেতাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন। আরও পড়তে পারেন: আলোচনায় কাদের মির্জা: সাধারণ সম্পাদকের ভাই, নাকি 'সত্যবচন'? ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বলছেন নোয়াখালীর সেই আ. লীগ নেতা আবদুল কাদের মির্জা গত কয়েকদিন ধরে আব্দুল কাদের মির্জা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তার বিরোধী অংশকে সহযোগিতা করা সহ নানা অভিযোগ করছেন। কাদের মির্জা তার সমর্থকদের নিয়ে দু'দিন আগে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে অর্ধ দিবস হরতালও হয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বাধীন অংশ মিছিল করলে সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হলো। মিজানুর রহমান বাদল বিবিসিকে অভিযোগ করেছেন, কাদের মির্জা তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সমালোচনা করেছেন। সেজন্য তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিলে তাতে হামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে। তার সহকারী সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তাদের কর্মসূচি চলাকালেই অন্য পক্ষ হামলা করলে সংঘর্ষ হয়। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেছেন, পুরো কোম্পানীগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। | বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে শুক্রবার বিকেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিবদমান দু'টি গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | প্রায়ই শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে। অনেকসময় শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে। বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভারচুয়াল মুদ্রা। মুদ্রাটির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। মঙ্গলবার ছিল প্রায় ১৯ হাজার ডলার যেখানে আজ সকালে দাম পড়ে গিয়ে হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার। যদিও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা আছে যেটি চাইলে কেনা যায়। বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, "এটি ইন্টারনেট সিস্টেমে একটা নির্দিষ্ট অংকে প্রোগামিং করা আছে যা চাইলে কেনা যায়। প্রতিবছর এটি অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়ে থাকে। ১০/১৫ বছর পর্যন্ত হয়তো বাড়বে তারপর আর বাড়বে না"। এই কয়েন কেনা-বেচা কিভাবে হয়? অর্থনীতিবিদ মি: মনসুর বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে বলেন, "এটা এমন একটি কয়েন যেটি কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনও দেশের জারি করা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে বলা যেতে পারে একধরনের জুয়াখেলা। যেটার ভিত্তিতে হয়তো আমার টাকা খাটিয়ে লাভজনক কিছু করে ফেলতে পারি। যার জন্য বেশিরভাগ লোক এটার পিছনে এখন ছুটছে"। এই মুদ্রার মনিটরিং কিভাবে হয়? "এটার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে এর কোনও কর্তৃপক্ষ নেই, এর সাথে কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেই যাদের কাছে বলা যাবে এটার বিনিময়ে আমি কিছু পেতে পারি" বলেন অর্থনীতিবিদ মি: মনসুর। তিনি বলেন, কারো কাছে যদি বিটকয়েন থাকে যা সে পাঁচশো ডলার দিয়ে কিনেছে এবং সেটা যদি সে ১৯ হাজার ডলারে বিক্রি করতে চায় কেবলমাত্র সেই দামেই সেটি কিনতে হবে। মুদ্রা দিয়ে যেভাবে পণ্য বা সেবা কেনা যায়, বিটকয়েন দিয়ে কি সেসব কেনা যায়? অর্থনীতিবিদ মি: মনসুর বলেন, "কেনা যাবে। কোনও ব্যক্তির কাছে এধরনের পণ্য বা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে সে চাইলে বিটকয়েনর বিনিময়ে সেটি বিক্রি করতে পারবে। অনলাইনে যেভাবে আমরা ই-পেমেন্ট সিস্টেমে কেনাকাটা করছি সেভাবে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনা-কাট করা সম্ভব"। বিটকয়েনে লেনদেন কতটা নিরাপদ? সম্প্রতি দাম বেড়ে যাবার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কয়েকদিন আগে এর দাম ছিল এক হাজার ডলার। তারও আগে ছিল একশো ডলার। একবছরের মধ্যে একশো থেকে এক হাজার ডলারে দাম উঠে যায়। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এর দাম উঠে গেছে ১৯ হাজার ডলারে। এটা র্যাশনাল বিহেভিয়ার নয়"। তিনি জানান, এখন এখানে অনেকেই এর পেছনে বিনিয়োগ করছে আরও বেশি টাকার জন্য। এরকম ক্ষেত্রে হঠাৎ করে এইসব লোকেরা বাজার থেকে সরে গেলে বিপদে পড়বেন অনেকেই। এই অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে বলেন, "এটাই আমাদের আশঙ্কা। যেহেতু এখানে কোনও কর্তৃপক্ষ নেই, টাকাটা আরও বেশি পরিমাণে সরবরাহের কোনও সুযোগ নেই। সুতরাং এটা যখন কলাপস করবে বা উপরের দিকে যাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও মেকানিজম নেই"। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বিটকয়েনে বিনিয়োগ না করতে। এটা কোনও অনুমোদিত কারেন্সি না। এটাতে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। আরো পড়তে পারেন: 'জঙ্গলের মধ্যে টিন-শেড ঘরে আমাকে আটকে রাখে' ওআইসি সম্মেলন: বিলাসবহুল গাড়ি কেনার উদ্যোগ | সম্প্রতি বিটকয়েন মুদ্রাটি আলোচনায় আসার কারণ মুদ্রাটির মূল্য হু হু করে রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। ফলে অনেকেই এই বিটকয়েন কেনার দিকে ঝুঁকছে। তবে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিটকয়েন আসলে কি ধরনের কয়েন? |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ২০শে জানুয়ারি থেকে যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের, তার অনুশীলন পর্ব। সাকিবকে কি দুর্দান্ত কামব্যাকের কোন টিপস দিচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম? অবশ্য নিষেধাজ্ঞা শেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন আগেই। কিন্তু এর আগের দুবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে যেমন দুর্দান্ত কামব্যাক করেছিলেন, এবারে তেমনটি হয়নি। গত বছরের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৯ ম্যাচে মাঠে নেমে মাত্র ১১০ রান তোলেন সাকিব। ম্যাচপ্রতি গড় ১২ দশমিক ২২। ওদিকে বল হাতে নেন মোটমাট ৬টি উইকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন পরিসংখ্যানবিদ ও বিশ্লেষক রিফাত এমিল বলেন, "সাকিব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। এধরণের ক্রিকেটাররা চ্যাম্পিয়নের মতোই ফিরতে চান। সবশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সাকিবের ব্যাট হাসেনি।" তবে সদ্য শেষ হওয়া নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচে অর্ধশতক পেয়েছেন যা স্বস্তির। মি. এমিল যোগ করেন, "বয়স ৩৩ হলেও সাকিবের ফিটনেস ভালো।" সাকিবের খেলার বিশ্লেষণে তিনি বলেন, "সাকিবের অন্য সুবিধা হলো অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে বেশ ভালো, হেড পজিশন, ফুট মুভমেন্ট, হ্যান্ড আই কো-অর্ডিনেশন সব ঠিক থাকলেই হচ্ছে। তার ওপর প্রতিপক্ষও খানিক দুর্বল। সাকিবের ফেরার আদর্শ মঞ্চ।" তবে প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও, 'চ্যালেঞ্জ থাকবেই' বলছেন মি. এমিল। "সাকিবের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ হবে, আগের জায়গায় ফেরত আসা। ২০১৯ বিশ্বকাপ যেখানে শেষ করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা চ্যালেঞ্জ নিতেই তো পছন্দ করেন।" সাকিব শেষবার ওয়ানডে খেলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে, যেখানে তিনি ৬০০ এর বেশি রান তোলেন এবং ১১টি উইকেট নেন। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বাংলাদেশের নানা পর্যায়ের ক্রিকেট দল পরিচালনা করেছেন। সাকিব আল হাসান নানা টেকনিকাল ও ক্রিকেটিয় সমস্যায় যাদের দ্বারস্থ হন তাদের একজন তিনি। তিনি জানান, সাকিব যে মাপের প্লেয়ার তাতে করে সময় ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে একটি উঁচুমানের ট্রেনিংও সম্পন্ন করেন সাকিব আল হাসান। যেখানে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না। তবে সাকিব নিজের উদ্যোগে তার মেন্টরদের সাথে কথা বলেন। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন কাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যে সিরিজ শুরু হচ্ছে সেখানে সীমিত ওভারের ম্যাচে সাকিব চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নামবেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, সাবিককে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে তাকে চার নম্বরেই ব্যাটিং করতে নামবেন। যদিও ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়জুড়েই চার অথবা পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছেন সাকিব কিন্তু তার সবশেষ টুর্নামেন্ট, যেটা ছিল ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ, সেখানে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সফল হয়েছিলন তিনি। ফলে অনেক বিশ্লেষকই প্রশ্ন তুললেন সাকিবের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করা ঠিক হল কি না। আগের দুবার যেভাবে ফেরেন সাকিব আল হাসান সাকিব আল হাসান ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোট তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বলা হয় তাকে, খেলার মাঠের প্রশংসার সাথে তার পিছু নেয় বিতর্কও। ২০১৪ সালে সাকিব আল হাসান প্রথম নিষিদ্ধ হন। সেবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, সাথে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। সেবার সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি হোম ওয়ানডে ম্যাচে টিভি ক্যামেরায় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন। এরপর সাকিব শ্রীলঙ্কার সাথে একটি ম্যাচ এবং এশিয়া কাপের ভারত ও আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচ খেলতে পারেননি। তিনি ফেরেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, মাঠে নেমেই ১৬ বলে ৪৪ রানের একটি ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও ৩২৬ রান তোলে বাংলাদেশ। যেটা বাংলাদেশের তৎকালীন ওয়ানডের সর্বোচ্চ স্কোর। সাকিব আল হাসান একই বছর আবারো নিষিদ্ধ হন জুলাই মাসে। এবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল আরো বড়, ছয় মাসের। নানা অভিযোগে এই শাস্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মাগুরায় নিজ বাড়ির সামনে সাকিব আল হাসান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন তখন বলেন, অভিযোগের তালিকা বেশ লম্বা। বোর্ড মনে করে তার আচরণগত সমস্যা আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন কাউকে আগে দেখেননি বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তখন সাকিব আল হাসান মূলত বোর্ডের অনাপত্তিপত্র না নিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চলে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি খেলেননি। এছাড়া তখনকার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে দুর্ব্যবহারেরও একটা অভিযোগ তোলা হয় সাকিবের ওপর। তখন সাকিব বলেন, তিনি কোচের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় দুঃখিত, ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসানকে দেয়া ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এনে তিন মাস করা হয়। সাকিব ফেরেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সাকিব ৫৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। দ্বিতীয় টেস্টে সাকির প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ১৩৭ রান। বল হাতে দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে মোট ১০টি উইকেট নেন। এই রেকর্ড আছে বিশ্বে কেবল চারজনের। অস্ট্রেলিয়ার এ কে ডেভিডসন ১৯৬০ সালে, ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম ১৯৮০ সালে, পাকিস্তানের ইমরান খান ১৯৮৩ সালে এবং সাকিব আল হাসান ২০১৪ সালে এই রেকর্ড গড়েন। | প্রায় পনের মাস পর সাকিব আল হাসান ফিরছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এই ক্রিকেটার এবারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্কোয়াডে আছেন। ২০শে জানুয়ারি মাঠেও নামবেন একরকম নিশ্চিত। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মির্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন, অমিত শাহ এর বক্তব্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণা ছড়াবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, অমিত শাহ এর বক্তব্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণা ছড়াবে। ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ তার বক্তব্যে বলেছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন। এমন বক্তব্যের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপি এবং জামায়াতের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ তুলেছেন যে, এই দু'টি দলের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অনেক বেশি হয়েছে। এই বক্তব্য বিএনপি মেনে নিতে রাজি নয়। সেজন্য দলটি কড়া ভাষায় তাদের বক্তব্য দিয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মি: আলমগীর বলেছেন, "এই বক্তব্যের মধ্যে মারাত্মক রকমের সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার বিষয় জড়িত রয়েছে। এছাড়া ভারতের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এইভাবে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সরাসরি চিহ্নিত করা বা আঙ্গুল দেখানো, সেটা কিভাবে শোভনীয় হয়-তা আমার জানা নাই।" আরো পড়ুন: দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের দৃষ্টান্ত নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' 'বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র': কী ঘটছে দলটির ভেতরে? "আমি মনে করি, পার্লামেন্টে তার এই বক্তব্য একেবারে সঠিক নয়। আমাদের সরকারের সময়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত আমরা এড়িয়ে চলেছি। এরকম ঘটেইনি বলা যায়।এরপরও কোন ঘটনা ঘটে থাকলে, সেটা সাম্প্রদায়িক নয়, সেটা রাজনৈতিক, দলের মধ্যে দলের সমস্যার কারণে হতে পারে।" মি: আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পরে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করাসহ যে ধরণের আক্রমণ হয়েছে, সে ব্যাপারে অমিত শাহ কিছু বলেননি। তিনি আরও বলেছেন, "ভারতের দায়িত্বশীলরা এমন মন্তব্য করলে সেটা পক্ষপাতদুষ্ট এবং তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।" বিএনপি মহাসচিব তাদের আমল নিয়ে অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষায়। একইসাথে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও নিন্দা জানিয়েছেন। মি: আলমগীর বলেছেন, এই সংশোধনী আরও সাম্প্রদায়িক। ভারতের যে চরিত্র একটা অসাম্প্রদায়িক বা একটা সেক্যুলার—সেই ভাবমূর্তি আর রক্ষা হচ্ছে না। এতে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে আমাদের নাগরিকে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।" | বাংলাদেশে বিরোধীদল বিএনপি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | অং সান সু চি গত পহেলা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর এটাকেই তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর আনা সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে অং সান সু চির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে লাইসেন্সবিহীন রেডিও যন্ত্রসামগ্রী সাথে রাখা, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া। কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে নতুন এই গুরুতর অভিযোগ আনলেন সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ঝাউ মিন তুন। সেনা বাহিনীর অভিযোগে বলা হয়েছে মিজ সু চি যে স্বর্ণ গ্রহণ করেছেন তার মূল্য প্রায় সাড়ে চার লাখ পাউন্ড। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল, প্রেসিডেন্ট এবং সু চি গ্রেফতার কে এই জেনারেল মিন অং লাইং মিয়ানমারে অভ্যুত্থান: জলকামান এবং রাবার বুলেট দিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? সেনা অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা নিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং লাইং আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছেন, ইয়াঙ্গনের সাবেক একজন মুখ্যমন্ত্রী অং সান সু চিকে ছয় লাখ ডলার অর্থ এবং ১১ কেজি স্বর্ণ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর বাইরে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ওই মুখপাত্র মিজ সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বা এনএলডির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, যেসব প্রতিবাদকারী নিহত হচ্ছে তাদের মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী। কারণ দলটি তাদেরকে রাস্তায় নেমে আসার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। অং সান সু চির দল গত নভেম্বরের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল, যদিও পরে সেনাবাহিনী নির্বাচনে দলটির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। তবে স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছিল যে নির্বাচনে অনিয়ম তারা দেখেননি। পহেলা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর মিজ সু চিকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে এবং তার দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাইকেই আটক করে রাখা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলছেন ইয়াঙ্গনের আঞ্চলিক মন্ত্রী ফিউ মিন থেইন বলেছেন যে তিনি অং সান সু চিকে নিজে নগদ ছয় লক্ষ ডলার অর্থ এবং স্বর্ণ দিয়েছেন। এসব দেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। অভ্যুত্থানের পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারে এদিকে দেশটিতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও সৈন্যরা আজও বেশ কয়েকটি শহরে এরকম বিক্ষোভের ওপর গুলি চালালে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। অনেকের গুলি লাগছে মাথায়। এ যাবত ৬০ জনের বেশি নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে এর সমালোচনা করা হয়েছে। তবে এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে উল্টো সহিংসতার জন্য অং সান সু চিকেই তারা দায়ী করছে। অং সান সু চি মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের মেয়ে অং সান সু চি। তার যখন দুই বছর বয়স তখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র দুই বছর পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। মিজ সু চিকে একসময় মানবাধিকারের বাতিঘর বলা হত- যিনি একজন নীতিবান অধিকারকর্মী হিসেবে দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতায় থাকা নির্দয় সামরিক জেনারেলদের চ্যালেঞ্জ করতে নিজের স্বাধীনতাকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। তাকে ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় এবং তাকে "ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতার অনন্য উদাহরণ" হিসেবে সম্বোধন করা হত। তখনও তিনি গৃহবন্দীই ছিলেন। মিজ সু চি ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুষ্ঠিত অবাধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি'র নেতৃত্ব দেন। যাতে বড় ধরণের জয় পান তিনি। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি কারণ তার সন্তানেরা বাইরের দেশের নাগরিক। তবে ৭৫ বছর বয়সী মিজ সু চি একজন ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবেই সুপরিচিত। তবে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার নেতৃত্বকে দেশটিতে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আচরণ দিয়েই বর্ণনা করা হয়। রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে পুলিশ স্টেশনে এক প্রাণঘাতী হামলার পর রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা, প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে মিজ সু চির সাবেক আন্তর্জাতিক সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তিনি ধর্ষণ, হত্যা এবং সম্ভাব্য গণহত্যা রুখতে কোন পদক্ষেপ নেননি এবং ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর নিন্দা কিংবা তাদের নৃশংসতার মাত্রাও স্বীকার করেননি। প্রাথমিকভাবে অনেকেই তার পক্ষে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করে বলেছেন যে, তিনি একজন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ যিনি বহু-জাতি বিশ্বাসের সম্প্রদায়ভুক্ত একটি দেশ শাসন করছেন যার জটিল ইতিহাস রয়েছে। তবে ২০১৯ সালে দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপের বিষয়ে তার নিজের স্বপক্ষে উপস্থাপিত যুক্তি এর মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এর পর তার আন্তর্জাতিক সুনাম বলতে তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকে না। দেশের ভেতরে "দ্য লেডি" নামে পরিচিত মিজ সু চি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়, যারা রোহিঙ্গাদের প্রতি তেমন সহানুভূতিশীল নয়। | মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি'র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার অর্থ ও সোনা গ্রহণের অভিযোগ এনেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করে রেখেছে রবিবার দেশটিতে বিক্ষোভ করার সময় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীরাও লাঠি এবং ছুরি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। ইয়াঙ্গুন শহরেই অন্তত ২১জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অন্যরা মারা গেছেন দেশটির অন্যান্য শহরে। পয়লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান করার পর থেকেই মিয়ানমার দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটির বেসামরিক নেত্রী এবং ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের প্রধান অং সান সু চিকে আটক করে রেখেছে সামরিক জান্তা। গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছে এনএলডি, তবে সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন এমপি গত মাসের সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নেননি। তারা লুকিয়ে নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেছেন। লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান প্রথম বার্তায় বিক্ষোভকারীদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন, যাকে তিনি 'বিপ্লব' বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ''এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।'' তিনি বলেছেন, জনগণের বিজয় হবেই। পর্যবেক্ষক গ্রুপ অ্যাসিট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার মিয়ানমারে মোট ৩৮জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, ইয়াঙ্গুনে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ আরও অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আরও পড়ুন: কে এই জেনারেল মিন অং লাইং মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংকটে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চির ভবিষ্যৎ কী মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীয় মিয়ানমারের ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে হ্লাইং থারাইয়ারে কী ঘটেছে? ইয়াঙ্গনের হ্লাইং থারাইয়ার এলাকায় অনেক কারখানা রয়েছে যেগুলো চীনা বিনিয়োগে তৈরি। চীনা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এখানে চীনা কারখানাগুলো বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। জান্তা সরকার এরপর এই এলাকায় সামরিক আইন জারি করে। বেইজিং বলছে, বিক্ষোভকারীরা রড, কুঠার এবং পেট্রোল নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে অন্ততঃ দশটি কারখানার ক্ষতিসাধন করেছে। এগুলো মূলত তৈরি পোশাকের কারখানা কিংবা গুদাম। একটি চীনা হোটেলও হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়। মিয়ানমারের চীন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পাতায় লিখেছে, কারখানাগুলোতে লুটপাট হয়েছে, ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, বহু চীনা কর্মী আহত হয়েছে এবং তারা আটকে পড়েছে। ওই এলাকায় দিনভর গুলির শব্দ শোনা যায়। রাস্তায় দেখা গেছে সেনাবাহিনীর ট্রাক। বিক্ষোভকারীর বালির বস্তা, টায়ার এবং কাঁটাতার দিয়ে অবরোধ তৈরি করে। কিছু বিক্ষোভকারীকে দেখা যায় অস্থায়ী ঢাল তৈরি করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেআহতদের উদ্ধার করার জন্য। বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, "আমার চোখের সামনেই তিনজন আহত ব্যক্তি মারা গেছে"। এদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, পুলিশের একজন সদস্যও সেখানে নিহত হয়েছে। এএপিপি মনিটরিং গ্রুপের হিসেবে, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হবার পর এখন পর্যন্ত ১২০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। মাহন উইন খিয়াং থান কী বলছেন এনএলডির যে এমপিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ), যার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ। সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি। গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সামরিক বাহিনী। যদিও এর সপক্ষে এখনো কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে সামরিক বাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, ভয়ভীতি তৈরি করা, অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম রাখা এবং কোভিড-১৯ নিয়মনীতি ভঙ্গ করা। অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা নিয়েছে সামরিক বাহিনী, যার ফলে অনেক মানুষ এর মধ্যেই নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিন্দা জানিয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: স্কুলে-মাদ্রাসায় শিশুদেরকে নির্যাতন রোধে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ 'মন্দিরে পানি খেতে যাওয়া মুসলিম শিশুকে' মারধরের ভিডিও ভাইরাল কক্সবাজারে 'রহস্যময়' বিস্ফোরণ সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে 'সিরিয়াল খুনি'কে মুক্ত করতে কেন এগিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা | মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিবাদ বিক্ষোভে গতকালই সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | শিল্পীর কল্পনায় ডাইনোসরদের বিচরণস্থল পৃথিবীর বুকে এক সময় বিচরণ করতো যে অতিকায় ডাইনোসররা, আজ শুধু পাওয়া যায় তাদের হাড়গোড়। কারণ, এখন থেকে প্রায় ছয় কোটি ৬০ লাখ বছর আগে এক ভয়ংকর ঘটনার পরিণতিতে তারা সবাই মারা গেছে। গবেষকরা মনে করেন পৃথিবীতে এক বিরাট আকারের গ্রহাণুর আঘাতে যে বিস্ফোরণ ও পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছিল সেটাই ডাইনোসরদের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার কারণ। ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পর পৃথিবীতে শুরু হয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের যুগ। ইউকাটান উপদ্বীপের জ্বালামুখ সাদা চিহ্ন বরাবর - যেখানে আঘাত হেনেছিল গ্রহাণু বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই গ্রহাণুটি ছিল ১২ কিলোমিটার চওড়া। সেটা এসে পড়েছিল মেক্সিকো উপসাগর তীরবর্তী ইউকাটান উপদ্বীপ এলাকায়। সেই এলাকায় তৈরি হওয়া বিশাল জ্বালামুখের ভূপ্রকৃতি এবং শিলার গঠন তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করে দেখেছেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল এবং সেই গ্রহাণুর আঘাতের চিহ্ন তারা খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকরা বলছেন, এত জোরে এটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল যে তাতে ২০০ কিলোমিটার চওড়া এবং কয়েক কিলোমিটার গভীর একটি গর্ত বা জ্বালামুখ তৈরি হয়েছিল। গর্তটির কিনারগুলো তার পর ভেতর দিকে ধসে পড়ে। এর ফলে সাগরে সৃষ্টি হয়েছিল এক ভয়াবহ সুনামি। তৈরি হয়েছিল দানবাকৃতির ঢেউ। মেক্সিকোর চিকশুলাব জ্বালামুখ থেকে পাওয়া শিলা এই গর্তটির বড় অংশই এখন আছে সমুদ্রের তলায়- তার ওপর জমেছে ৬০০ মিটার পুরু পলির আস্তরণ। মাটির ওপর যে অংশ আছে তা চুনাপাথর দিয়ে ঢাকা। বিজ্ঞানীরা ওই এলাকাটির উপাদান পরীক্ষা করে কোন সালফার বা গন্ধকের উপস্থিতি পান নি। কিন্তু সমুদ্রের তলদেশের ওই জায়গাটির এক তৃতীয়াংশই ছিল জিপসামের তৈরি - যার অন্যতম উপাদান সালফার। আরো পড়ুন: গ্রহাণুর আঘাতের ৫০ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের বিলুপ্তি শুরু টি-রেক্স কেন ভয়ঙ্কর ডাইনোসর ছিল? যেভাবে ডাইনোসরের সমাধি পেলো এক মেষপালক বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহাণুর আঘাতে সৃষ্টি হয়েছিল সুনামির বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই সালফার হয়তো ওই গ্রহাণুর আঘাতজনিত বিস্ফোরণে সাগরের পানির সাথে মিশে গিয়েছিল এবং তা আকাশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার ফলে নাটকীয়ভাবে আবহাওয়া অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে যায়, এবং কোন প্রাণী বা গাছপালার বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের অন্যতম টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শন গুলিক বলছেন, একশ গিগাটন (এক গিগাটন মানে হলো ১০০ কোটি টন) সালফার বায়ুমন্ডলে মিশে যাবার ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে অন্তত ২৫ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়। তার মানে পৃথিবীর বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা তখন নেমে গিয়েছিল শূন্য ডিগ্রির নিচে। ডাইনোসরের মাথার খুলি তিনি আরো বলছেন, রক্ষণশীল হিসেবে মনে করা হয় যে ওই ঘটনায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রায় ৩২৫ গিগাটন সালফার ছড়িয়ে গিয়েছিল। এত ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পেরেছিল, কিন্তু ডাইনোসররা বাঁচতে পারে নি। ডাইনোসররা কেন সহসাই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল - তার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করে যেসব তত্ত্ব আছে, তার মধ্যে এটি বিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয়। অধ্যাপক গুলিকের গবেষণায় এ তত্ত্ব সমর্থনে বেশ কিছু যুক্তি মিলে যাচ্ছে। | ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর ওপর এক বিশাল গ্রহাণুর আঘাতের পরিণামে। একদল বিজ্ঞানী সেই ঘটনাটির বিশদ বিবরণ তৈরি করেছেন সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা ধরে ধরে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ তিনি সকাল ৭:৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছেন মি. বাবলু। গত ২৭শে জুন সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় যাবত মি: এরশাদ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত দুইদিন ধরে তাঁর কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাড়া দিচ্ছিল না। মি: বাবলু বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মি: এরশাদের জানাযা এবং দাফন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। সাবেক রাষ্ট্রপতি মি: এরশাদের মৃত্যু শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মৃত্যুকালে মি: এরশাদের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। মি: এরশাদের জন্ম হয়েছিল ১৯৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায়। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে সামরিক শাসন নিয়ে ২৪শে মার্চ সরকার গঠন করেছিলেন মি: এরশাদ। প্রায় নয় বছর দেশ শাসনের পর এক গণআন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রাজনীতিতে টিকে থাকার একটি দৃষ্টান্তও তিনি সৃষ্টি করে যান। আরো পড়তে পারেন: এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল এরশাদ যেভাবে রাজনীতিতে টিকে গেলেন | বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মারা গেছেন, দলটির নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | প্রাণ বাঁচাতে ভবনটির গায়ে ঝোলানো দড়ি বেয়ে নেমে আসছিলেন যারা। বারো তলা বা চৌদ্দ তলার ওপরে হবে জায়গাটা। বারবার গোনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম। কারণ বারবার মনঃসংযোগ ব্যহত হচ্ছে। চারপাশে অজস্র মানুষ। কেউ হাহাকার করছেন। কেউবা উচ্চস্বরে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছেন। আবার কেউ কেউ দমকল কর্মীদের শাপশাপান্ত করছেন। দমকল বাহিনীর যে দীর্ঘ ল্যাডারটির চূড়ায় বসে দুজন দমকলকর্মী পানি ছুড়ছিলেন তারা থেমে গেছেন। সম্ভবত পানির সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। ল্যাডার এবার ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা শুরু করলো। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর ল্যাডারটির চূড়া লোকটির ফুট দশেকের মধ্যে পৌঁছালো। দমকল কর্মীরা ইশারায় কিছু একটা দেখাচ্ছিলেন। সম্ভবত ছাদ থেকে নেমে আসা দড়িগাছা ধরে ল্যাডারের কাছে পৌঁছাতে ইঙ্গিত করছিলেন লোকটিকে। এরই মধ্যে ঘন কালো ধোঁয়ায় কয়েকবার ঢেকে গেছেন তারা। তাদের পাশে কয়েকটা কাঁচের জানালা হঠাৎ ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ল। তারপর সেই জানালাগুলো দিয়ে বেরিয়ে এলো বেশ কয়েকজোড়া হাত। অনেক দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করার চেষ্টা করছি। মানুষগুলোর চেহারা ভালো বোঝা যাচ্ছে না। তবে পোশাক দেখে মনে হলো এদের মধ্যে জনাদুয়েক তরুণী আছেন। এরাও হাত নেড়ে ল্যাডারটিকে ডাকাবার চেষ্টা করছিলো। নিচ থেকে জনতা সমস্বরে দমকল বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করছে, 'ওদেরকে আনুন ওদেরকে আনুন'। ল্যাডারের চূড়ায় বসা দমকলকর্মী দুজনকে দ্বিধান্বিত মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের পানির সরবরাহ ফিরেছে। তারা জানালার মানুষ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উপর দাঁড়ানো মানুষটিকে আনবে, নাকি জানালা থেকে বলকে বলকে বেরিয়ে আসা আগুনের কুণ্ডলীর দিকে পানি ছুড়বে? এরই মধ্যে জনাচারেক মানুষকে দেখলাম। ছাদ থেকে নেমে আসা রশি বেয়ে নেমে আসার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় সাদা টুপি। আমার চারপাশের জনতা হৈ হৈ করে উঠলো। তারা সমস্বরে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছে। এরই মধ্যে একটা হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল। দড়ি বেয়ে যে চারজন নেমে আসছিলেন, তাদের একজনের হাত হঠাৎ দড়ি থেকে ছুটে গেলো। তিনি সশব্দে নিচে এসে পড়লেন। চারপাশে জনতার মধ্যে একটা হাহাকারের ঢেউ বয়ে গেল। আমি সেখান থেকে বেশ অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছি। পড়ে যাওয়া লোকটির ভাগ্যে কি ঘটলে জানিনা। কয়েক মুহুর্ত পর আরো একজন পড়ে গেলেন। তার ভাগ্যে কি ঘটলো তাও জানিনা। এখন রশি বেয়ে নেমে আসছেন দুজন। তারা অনেক চেষ্টা করে চার তলা কি পাঁচ তলায় নেমে এসে একটি কার্নিশের ওপর দাঁড়ালেন। সহকর্মী তাফসীর বাবুর কাছে শুনছিলাম, আমি এখানে এসে পৌঁছানোর আগে এভাবে রশি বেয়ে নামতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গেছেন আরো তিনজন। তার চোখের সামেই। রাস্তায় দাঁড়ানো জনতা তাদের নিয়ে আলাপ করছিলেন। অনেকেই এই তিনজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন। তারা বলাবলি করছিলেন, এই মানুষগুলো রক্তে একেবারে ভেসে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে। এরই মধ্যে মাথার উপর একটি হেলিকপ্টার চক্কর দিতে শুরু করেছে। এটির গায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো অংকিত। আরো পড়ুন: ‘দোস্ত, উপরে ওঠ! হেলিকপ্টার আইছে’ বনানী আগুন: ভবন থেকে হাত নাড়ছেন অনেকে ভবনটির ভেতরে যারা আটকা পড়েছেন তাদের অনেকেই সম্ভবত ভবনের ছাদে উঠে গেছেন। তাদের উদ্ধার করার জন্যই এই হেলিকপ্টারটি এসেছে সম্ভবত। এটি বারবার ভবনের চারপাশে চক্বর খাচ্ছে। কিন্তু ছাদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। এরই মধ্যে আধা ঘণ্টার মতো পেরিয়ে গেছে। জানালা দিয়ে যারা হাত নাড়ছিলেন তারা তখনও হাত নাড়ছেন। এসির আউটডোর ইউনিটের উপর বসা মানুষটি তখনও অপেক্ষমাণ। আর রশি বেয়ে নেমে আসা দুজন মানুষ তখনও কার্নিশের উপর বসা। এই দুজন অপেক্ষাকৃত নিরাপদে আছেন। পরের দিকে এদেরকে ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারে করে নামিয়ে আনতে দেখা যায় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওতে। কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। | রাজধানী ঢাকার বনানীতে ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বহিরাংশের (আউটডোর ইউনিট) উপর দাঁড়িয়ে প্রবল বেগে হাত নাড়ছেন একজন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভারতে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক কোনকিছু তৈরি এবং শেয়ার করা অবৈধ কাজ। একদল টিনএজার একজন তরুণীর শরীর থেকে কাপড় টেনে খোলার চেষ্টা করছে-এমন একটি ভিডিও চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতের জনপ্রিয় একটি সামাজিক মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে ভাইরাল হয় । সেখানে দেখা যায় মেয়েটি ছেলেদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অনুনয় করতে থাকে, তাদেরকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করে কিন্তু তারা ব্যঙ্গ করতে করতে, হাসতে হাসতে প্রচণ্ড উপভোগের সাথে অপকর্মটি করতে থাকে। সেই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ এটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় যে বিহারের একটি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল এবং অভিযুক্ত তরুণদের আটক করা হয়েছিল। প্রদেশটির রাজধানী থেকে কাছেই সেই গ্রামটির নাম জেহানাবাদ। সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝে বিষয়টি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এবং তারা পুরো ঘটনার জন্য দোষারোপ করছে স্মার্টফোনকে। ভারতে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক কোনকিছু তৈরি এবং শেয়ার করা অবৈধ কাজ। যদিও সস্তা ইন্টারনেট ডাটা এবং স্মার্ট-ফোনের কারণে সেসব সহজেই মিলে যাচ্ছে হাতের নাগালে, কিন্তু উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে, নারী-পুরুষের সম্পর্ক এবং যৌনতার বিষয়ে সেসব তাদের অর্থপূর্ণ কোনও ধারণাই দিতে পারছে না। স্থানীয় অনেক কিশোর-তরুণ বিবিসির সংবাদদাতার কাছে স্বীকার করেছেন যে, তারা যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের ভিডিও দেখেছেন। আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চান? মোবাইলের সামনে শিশুদের কত সময় থাকা উচিৎ? গুজবে কান দিয়ে কেন মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে? মাদ্রাসায় কেন পুড়লো হাজারো মোবাইল ফোন? ভিডিও শেয়ার করার জন্য বেশ জনপ্রিয় হোয়াটস অ্যাপ ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর জানায়, সে এরকম ২৫টির বেশি ভিডিও দেখেছে , সে এটাও জানায় যে নিজেদের বন্ধুদের মাঝে তারা স্মার্ট-ফোনে এসব আদান-প্রদান করে থাকে। তার ভাষায় "আমার ক্লাসের অধিকাংশ ছেলেই একসাথে বসে কিংবা তারা নিজেরা নিজেরা এসব ভিডিও দেখে।" আরেক কিশোর বলে, "এটা দারুণ লাগে কারণ সবাই এটা করে।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ভারতীয় বহু পুরুষের ক্ষেত্রেই এভাবে যৌনতার সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে । চলচ্চিত্র পরিচালক এবং লেখক পারমিতা ভোহরা এজেন্টস অব ইশক (ভালবাসার এজেন্ট) নাম দিয়ে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করছেন যেখানে 'সেক্স' বিষয়ে খোলামেলা কথা-বার্তা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, "আমাদের বেড়ে ওঠার সময় যৌন শিক্ষা দেয়া হয়নি কিংবা এসব বিষয়ে স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক আলাপও হয়নি।" ভারতে স্মার্ট-ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা চারশো মিলিয়ন এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশি লোক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। এই ধরনের ভিডিও শেয়ার করতে এই মাধ্যমটিই প্রায়শ ব্যবহার করা হয়। বিবিসিকে দেয়া এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, "আমাদের প্ল্যাটফর্মে এই ভয়াবহ ধর্ষণের ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির কোন স্থান নেই। এ কারণে আমরা এসব বিষয়ের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে রিপোর্ট করার বিষয়গুলো সহজ রেখেছি, যাতে করে আমরা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্যান (নিষিদ্ধ) করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। আমরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যেকোনো আইনগত জিজ্ঞাসা বা অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের তদন্ত কাজে সহায়তা করে থাকি।" অনেকেই মনে করছেন এই ধরনের সহিংসতাপূর্ণ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পেছনের কারণ যৌন শিক্ষার অভাব উত্তরাঞ্চলীয় উত্তরাখণ্ড প্রদেশে কয়েকজন যুবক তাদের মোবাইল ফোনে পর্ণ ভিডিও দেখে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর তা ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্ট করেছিলো। সেটিকে কেন্দ্র করে, উগ্র পর্নোগ্রাফি রয়েছে এমন ওয়েবসাইটের ওপর ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেয় স্থানীয় একটি আদালত। ব্যাপক বিক্ষোভের পর প্রায় তৎক্ষণাৎ সেটি বাতিল করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র সহিংসতা কিংবা আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে এমন ৮শর মতো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদিও এর খুব একটা প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বলা যাবেনা। বড় বড় পর্নোগ্রাফী সাইটগুলোর অন্যতম একটি সাইটকে ব্লক করে দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যে সেটি আবার নতুন ইউআরএল সহ হুবহু একইরকম আরেকটি সাইট (মিরর সাইট) তৈরি করে ফেলেছে এটির ভারতীয় বাজারকে লক্ষ্য করে। কিন্তু 'ব্যান' বা নিষিদ্ধ করাই কি সমাধান? অনেকের বিশ্বাস প্রজনন শিক্ষার ঘাটতি এই ধরনের সহিংস এবং নারী-বিদ্বেষী ভিডিওর প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতা কি সে সম্পর্কে গভীর কোন ধারণা থাকেনা। সরকার অবশ্য এই অবস্থা বদলানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০০৯ সালে অ্যাডলসেন্ট এডুকেশন প্রোগ্রাম চালুর মাধ্যমে। এর উদ্দেশ্য ছিল- কিশোর বয়সের নানা পরিবর্তন এবং লিঙ্গ, যৌনতা, যৌন সংক্রামিত রোগ ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করা। কিন্তু এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে এখনো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জেহানাবাদেরই একটি গার্লস স্কুলের অধ্যক্ষ জানালেন এই কর্মসূচি সম্পর্কে তার কোন ধারনাই নেই। ভারতের প্রজ্বলা সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে যৌন সহিংসতা এবং পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় হায়দ্রাবাদ শহরের এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুনীতা কৃষ্ণাণ বলছেন, এই ধরনের হিংসাত্মক ভিডিওগুলো ভারতের সমাজে প্রচিলিত প্রাচীন বিশ্বাসকে আবারও সামনে তুলে ধরছে যে, একজন নারীর পছন্দ-অপছন্দ গুরুত্বহীন এবং তার কোন কর্তৃত্ব নেই। মিজ কৃষ্ণাণ যিনি নিজে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, তিনিও এ ধরনের ভিডিও পেয়েছেন এবং সেসব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে ২০১৫ সালে পর্ণ সাইটগুলোর ওপর সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছিল তার অক্লান্ত চেষ্টার ফলাফল হিসেবে। যদিও এসব ভিডিওর অল্প সংখ্যক সরিয়ে ফেলতে তিনি সক্ষম হয়েছেন কিন্তু তিনি বলছেন, ইন্টারনেট থেকে কোনকিছু সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। বিহারের ৪০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র তিনজন। তাদেরই একজন রঞ্জিত রঞ্জন মনে করেন এইসব ভিডিও সম্পর্কে নিরুদ্বেগ মনোভাব বিপজ্জনক। "কেউই আসলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। লোকজনের যদি এই মেয়েদের সম্পর্কে সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকতো, তাহলে তারা এই ধরনের ভিডিও শেয়ার না করে বরং পুলিশের কাছে গিয়ে জানাতো।" মিজ রঞ্জন আরও উদ্বিগ্ন কারণ তার মতে এ ধরনের ভিডিও বানানোর জন্য যেন রীতিমত 'একধরনের প্রতিযোগিতা' নজরে আসছে তার। "যদি এগুলো এভাবে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা চলতে থাকে এবং আমাদের কোনধরনের যৌন-শিক্ষা না থাকে, তাহলে নারীদের কেবলমাত্র বস্তু হিসেবে এবং বিনোদনের উৎস হিসেবে বিবেচনা করতে হবে -এমন ধারণাই বদ্ধমূল করতে উৎসাহিত করবে।" আরও পড়তে পারেন: ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ-আতংক জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান ৯১ সালের পর এই প্রথম হাসিনার বিপক্ষে নেই খালেদা মোবাইল ফোনে থ্রি জি এবং ফোর জি সেবা বন্ধ নির্বাচনী এজেন্ট খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে বিএনপি | ভারতে যেভাবে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটছে তাতে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, স্মার্ট-ফোন এবং সহিংসতায় পরিপূর্ণ পর্ণ ভিডিও, যৌনতা সম্পর্কে শিক্ষার অভাব যৌন সহিংসতার ঘটনা বাড়িয়ে দিতে পারে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কোটার কারণে মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারি চাকরির একাংশ অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য বাতিল করা হয়েছে। তবে নিচের দিকের পদের জন্য এই কোটা পদ্ধতি বহাল থাকবে। "আমরা আজ কালের মধ্যেই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবো। তারপরেই জনপ্রশাসন প্রজ্ঞাপন জারী করবে। ওই দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে," বলেন মিঃ আলম। তবে কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, সচিব কমিটির সুপারিশগুলো বিস্তারিত দেখে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন। আরো পড়ুন: কোটা সংস্কার: আন্দোলনের নেপথ্যে কী ঘটছে যে কারণে কোটা আন্দোলন নিয়ে আবার উত্তেজনা কোটা বাতিল হয়ে গেছে, আর হা-হুতাশ নয়: শেখ হাসিনা গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন 'কোটা' নেতারা যেভাবে দানা বাঁধে কোটা আন্দোলন মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে যা এপ্রিলে এসে তীব্র হয়ে ওঠে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের নিয়মিত সংঘর্ষ হতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পর ব্যাপক পুলিশ অভিযান চালানো হয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এ আন্দোলনের মুখেই গত ১১ই এপ্রিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। তবে গত ১২ই জুলাই তিনি আবার সংসদে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ থাকায় সেটি সরকারের পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এরপর তা নিয়ে আবারো বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ' নামে ১৭১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির আহবায়ক ছিলেন হাসান আল মামুন। আর বাকি ১৭০ জনই যুগ্ম আহবায়ক। তাদের সাতজনই পরে আটক হয়ে জেলে গিয়েছিলেন। তারা এখন জামিনে রয়েছেন। ব্যানার এভাবে দাবি তুলে ধরেছিলেন আন্দোলনকারীরা সচিব কমিটি গঠন বছরের শুরু থেকে কয়েকমাস ধরে নানা কর্মসূচি পালনের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে কোটা সংস্কারের জন্য মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহবায়ক করে ২রা জুলাই সাত সদস্যের সচিব কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই কমিটিকে প্রথমে পনের দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও পরে সে সময় বাড়ানো হয়। পরে গত ১৩ই অগাস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে জানান যে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা তুলে দিয়ে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সুপারিশ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর কোটা পর্যালোচনা কমিটির মুখপাত্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সচিব কমিটির সুপারিশ আজকের মন্ত্রীসভা বৈঠকে তুলে ধরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সরকারি চাকরিতে কোটা কতটা? বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে এখন সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা পুরো কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করলেও কোটার একটি বড় অংশ, অর্থাৎ ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় সেটিই সবচেয়ে বেশী আলোচনায় এসেছে। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা বর্তমান ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতেই বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করেছিলো শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি কী ছিলো? 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ'এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল - | বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সচিব কমিটির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারের মন্ত্রিসভা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | 'শচীন'কে খুঁজতে চিরুণি তল্লাসি চালাচ্ছেন বনরক্ষীরা তাকে খুঁজতে এখন চলছে চিরুনি তল্লাশি। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া বেঙ্গল সাফারি পার্কের। সেখানেই দুই সঙ্গিনী আর সৌরভ নামের এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে থাকত শচীন নামের লেপার্ডটি। বেঙ্গল সাফারি পার্ক একটি উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা, যেখানে বাঘ, হাতি, লেপার্ড, হরিণের মতো বহু পশু রয়েছে। পর্যটকরা পায়ে হেঁটে অথবা সুরক্ষিত গাড়িতে চেপে ওই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে পারেন। আরো পড়ুন: মারা পড়ার আগে বাঘটির শেষ ছবিগুলো মানুষখেকো বাঘ মারা নিয়ে ভারত কেন বিভক্ত হিন্দুদের পশুপাখি বলি নিষিদ্ধ করছে শ্রীলঙ্কা বছরের প্রথম দিন পার্ক খোলার আগে নিয়ম মাফিক নজরদারী চালাতে গিয়েই কর্মীরা খেয়াল করেন যে লেপার্ড এনক্লোজার থেকে শচীন উধাও হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক করা হয় পার্কের কর্মকর্তাদের। পাশেই হরিণ সহ অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীদের থাকার যে বিশাল ঘেরা এলাকা রয়েছে, সেখানেই কোথাও শচীন লুকিয়ে আছে নাকি পার্কের সীমানা পেরিয়ে লাগোয়া জঙ্গলে বা গ্রামের দিকে চলে গেছে, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায় নি। দুটি হাতি, ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে ছয়টি আলাদা দল শচীনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে, খোঁজা হচ্ছে লাগোয়া বৈকুন্ঠপুর বনাঞ্চলেও। হাতি নিয়ে 'শচীন'কে খুঁজছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্মীরা পার্কের সহকারী পরিচালক অসীম চাকি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "লেপার্ডটা কোন জায়গায় থাকতে পারে, সেটা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু ওকে এখনও ট্রেস করা যায় নি।" "লেপার্ড এমন প্রাণী, পাশে বসে থাকলেও টের পাওয়া কঠিন। তাই ওকে খুঁজে বের করার কাজটা বেশ শক্ত, তবে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই খুঁজে পাওয়া যাবে ওকে।" কর্মকর্তারা বলছেন, চারটি লেপার্ডের থাকার জন্য যে ঘেরা ২০ হেক্টর ঘেরা জায়গা রয়েছে, তার বেড়া টপকিয়েই পালিয়েছে 'শচীন'। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলে হতাশা ঐক্যফ্রন্টের এতো কম আসন আশা করেনি জাতীয় পার্টি বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? বছর জুড়ে যে ৯টি ঘটনা আলোচিত ছিল পাশের একটি গাছে চড়ে সেখান থেকেই লাফ দিয়ে প্রায় ২৫ ফুট বেড়া টপকিয়ে লেপার্ডটি, এমনই ধারণা কর্মকর্তাদের। এদিকে লেপার্ড নিখোঁজ হতেই নিরাপত্তার জন্য বছরের প্রথম দিনেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্কে পর্যটক প্রবেশ। "বুধবার থেকে সুরক্ষিত গাড়িতে চেপে সঙ্গে বনরক্ষী নিয়ে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি আমরা। বেঙ্গল সাফারির সব দিকেই যেতে পারবেন, কিন্তু লেপার্ড সাফারিটা বন্ধ থাকছে আপাতত," জানালেন মি. চাকী। উত্তরবঙ্গের চা বাগান বা নানা গ্রাম থেকে যখনই লেপার্ড ধরা পড়ে, সেগুলিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে লেপার্ড উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চার বছর বয়সী শচীন আর সৌরভকেও দক্ষিণ খয়েরবাড়ি উদ্ধার কেন্দ্র থেকেই বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল গত বছর। বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে লেপার্ড নিখোঁজ হওয়ার খবরে ১২ কিলোমিটার দূরের শিলিগুড়ি শহরেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। | 'সৌরভ' আর 'শচীন' বছর খানেক ধরে এক সঙ্গেই থাকত। কিন্তু পয়লা জানুয়ারি সকাল থেকে খোঁজ নেই 'শচীন'এর। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | চেন্নাইয়ের রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ এরপর ভারতের মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের মধ্যেও নিজের নামের সঙ্গে চৌকিদার যোগ করার হিড়িক পড়ে গেছে - আর তারা বলছেন যারাই দেশের দুর্নীতি ও সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়ছেন তাদেরই উচিত হবে এই নতুন উপাধি নেওয়া। দুর্নীতির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এর আগে যে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তোলা শুরু করেছিলেন, তার মোকাবিলায় বিজেপি এখন এভাবেই পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় যেতে চাইছে। কিন্তু ভারতে আসন্ন নির্বাচনের আগে 'চৌকিদার' কীভাবে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এল? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই টুইট আসলে রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনায় কথিত দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে গত কয়েকমাস ধরে একের পর এক জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। তিনি 'চৌকিদার' বলামাত্র তার সমর্থকরা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠছেন 'চোর হ্যায়' বলে! কিন্তু এখন নিজে থেকেই নামের আগে সেই চৌকিদার যোগ করে পাল্টা আক্রমণে যেতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। তার দেখাদেখি টুইটার হ্যান্ডলে বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরাও এখন 'চৌকিদার অমিত শাহ' বা 'চৌকিদার রাজনাথ সিং' নাম নিয়েছেন। ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বিজেপির মন্ত্রী ও মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলছেন, "কংগ্রেস কিন্তু চৌকিদারকে সম্মান করে কিছু বলছে না - তারা তাদের চোর বলছে।" "আগেও তারা চা-ওলা বা পকোড়া-ওলার মতো যারা মেহনত করে খেটে খায় তাদের অপমান করেছিল।" "বেইমানির অর্থে যারা খাচ্ছে, শুধু তারাই কংগ্রেসের চোখে সম্মানিত - আর চা-ওলা, পকোড়া-ওলা, চৌকিদারের মতো মেহনতীরা অপমানের শিকার।" তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী মোদী এর আগে যেভাবে নিজের চা-ওলা পরিচয়কে দারুণভাবে বিপণন করতে পেরেছিলেন, একইভাবে নিজেকে চৌকিদার বলে জাহির করে দুর্নীতির অভিযোগকেও ভোঁতা করে দিতে পারবেন? কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ও শিলচরের এমপি সুস্মিতা দেব অবশ্য তা মনে করেন না। কংগ্রেস এমপি সুস্মিতা দেব মিস দেব বিবিসিকে বলছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেকে দেশের প্রধান সেবক ও চৌকিদার বলে বর্ণনা করেছিলেন।" "কিন্তু সেই চৌকিদারের বিরুদ্ধেই এখন রাফায়েল কেনায় চুরির অভিযোগ উঠেছে।" "আর সেই চুরির অভিযোগ ঠেকাতেই তিনি আক্রমণাত্মক খেলার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না, ওনার রাফায়েল কেলেঙ্কারি ধরা পড়বেই।" "এর আগে তিনি নিজেকে চা-ওলাও বলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোনও দিন চা বিক্রি করেছেন সে প্রমাণ মেলেনি।" "নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করে বিতর্কের ন্যারেটিভটা বদলে দেওয়ার চেষ্টাও সফল হবে না।" প্রধানমন্ত্রীকে টুইটারে রাহুল গান্ধীর জবাব "আর দেশের যে সব মানুষ আধপেটা খেয়ে ঘুমোতে যান কিংবা মূল্যবৃদ্ধির আঁচ যাদের পকেটে লাগে তারা টুইটারও ফলো করেন না, ফেসবুকও দেখেন না - কাজেই এসব গিমিকে তাদের কিছু আসে যায় না", বলছিলেন সুস্মিতা দেব। দিল্লিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোমা চৌধুরী আবার বিবিসিকে বলছিলেন, "সমাজে চৌকিদার আসলে যার হওয়া দরকার, সেটা হল মিডিয়া।" "কিন্তু দেশের মিডিয়াই ভয়ঙ্কর আত্মসমর্পণ করে বসে আছে - ক্ষমতার কেন্দ্রগুলোর ওপর তারা সতর্ক নজর মোটেই রাখতে পারছে না। বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোকে তো মনে হচ্ছে যেন কর্তৃপক্ষেরই একটা সম্প্রসারণ!" কিন্তু তাহলে চৌকিদার স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এই টানাটানি কি আসন্ন নির্বাচনে কোনও প্রভাবই ফেলবে না? রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোমা চৌধুরী মিস চৌধুরীর মতে, "এগুলো আসলে দিল্লি-ভিত্তিক বা সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক কিছু মানুষের জন্য তৈরি করা 'নয়েজ' বা গোলযোগ, কিন্তু দেশের মানুষ এসব দেখে ভোট দেন না।" "আমরা আগে বারবার দেখেছি ভারতীয় ভোটাররা খুব পরিণত, নিজেদের প্রয়োজন বুঝেই তারা কখনও অমুক দলকে সাজা দিয়েছেন, আবার তমুক দলকে পুরস্কৃত করেছেন।" "আর তার আগে এই চৌকিদার-বিতর্কটা নির্বাচনী রাজনীতির বিনোদনেরই অংশ বলে আমার ধারণা", বলছেন মিস চৌধুরী। পাঁচ বছর আগে ভারতে নির্বাচনের সময় চা-ওলা বা চা-বিক্রেতারা যেরকম আইকনে পরিণত হয়েছিলেন, রাজনৈতিক তরজার সূত্র ধরে এবারেও সেই একই জিনিস ঘটছে বাড়ি বা অফিসের নিরাপত্তারক্ষী, অর্থাৎ চৌকিদারদের সঙ্গে! | ভারতের প্রধানমন্ত্রী রবিবার নিজের নামের আগে চৌকিদার শব্দটি জুড়ে টুইটারে নিজের নতুন নামকরণ করেছেন 'চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী'। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞাপনের শুরুতেই দেখা যায় হামিদ নামে এক ব্যক্তি গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রাণপণে ছুটছেন। এবং তাকে হৈ হৈ করে তাড়া করছেন গ্রামের একদল নারী পুরুষ। সেই গ্রামেরই এক প্রবীণ ব্যক্তি দুই পক্ষের পথরোধ করে এই তাড়া করার কারণ জানতে চান। এসময় এক নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, গ্রামের আরেক ব্যক্তি জহির তার প্রয়াত বাবা মায়ের স্মরণে ফকির মিসকিন খাওয়াতে চান। এজন্য তিনি হামিদকে পাঠিয়েছেন তাদেরকে দাওয়াত করতে। এতে তারা অপমানিত হয়েছেন। "আমরা কি ফকির মিসকিন নাকি?" পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ওই নারী। পরে ভিড় থেকে আরেক ব্যক্তি জানান, তারা আগে ফকির মিসকিন থাকলেও এখন আর নেই। এখন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষ। সরকার তাদের ঘর, বিদ্যুৎ সংযোগ, জায়গা জমি, পুকুর দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়া সেইসঙ্গে উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে জানান তারা। সেখানে একটি সংলাপ ছিল যে, "আমরা গরিব হইতে পারি, কিন্তু ফকির মিসকিন না।" সবশেষ তারা জানান, "এইদেশে ফকির মিসকিন খুঁজতে আহে। বাংলাদেশ আর সেই দেশ নাই।" তথ্য মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিজ্ঞাপনটি প্রচার করে। এটি মূলত সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে একটি উন্নয়ন মূলক বিজ্ঞাপন। যেখানে বলা হয়েছে যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এরইমধ্যে আড়াই লাখ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আরও এক লাখ পরিবারের পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া: বিজ্ঞাপনটির বিষয়বস্তু নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করতেও বাদ রাখেননি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে গিয়ে দেখা যায় ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার আপলোড করা হয়েছে। এবং এরইমধ্যে এর ভিউয়ার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেয়ার হয়েছে সাত হাজার বার। এছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিজ্ঞাপনটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকেও আপলোড করেছেন। এছাড়া কমেন্ট পড়েছে এক হাজারেরও বেশি। তবে বেশিরভাগ কমেন্টেই এই বিজ্ঞাপনের দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন ইউজাররা। আরও পড়তে পারেন: চুম্বনের ভাইরাল সেই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বিজ্ঞাপনী বাজার: ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনা কতটা? টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে গুপ্তচর হওয়ার ডাক এ ব্যাপারে রাফিউল ইসলাম তার কমেন্টে বলেন "বাংলাদেশে ফকির মিসকিন নাই তাহলে কুরবানির চামড়ার টাকা দিলাম কাকে? ফকির মিসকিনের অংশটা নিলো কারা?" মারলিন নামে এক ইউজার বলেন, "নাই তো একেবারেই নাই, তাই তো ইফতারি নিতে গিয়ে চাপা পড়ে মরে, মাংস নিতে লাইন দিয়ে মারামারি করে মরে।" বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ফেসবুক ইউজাররা। তাহমিদুল ইসলাম লিখেছেন, "আজকে মসজিদের সামনে যাদের দেখলাম. তারা কারা? আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ভিক্ষা করতে আসছে?" মোহাম্মদ মুন্না এমএন প্রশ্ন তুলেছেন এসব প্রকল্প পরিচালনার ওপর। তিনি বলেন, "তথ্য মন্ত্রণালয় এটা কেমন ভিডিও তৈরি করলো, যার কোন সার্থকতা নেই। সরকার ফকির মিসকিন দূর করার জন্য কাজের প্রকল্প হাতে নিলেও তা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়না বলে এখনও হাজার হাজার ফকির মিসকিন আছে।" এছাড়া অনেককেই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করতে দেখা যায়, তাদের একজন হলেন, মোরশেদ আলম। তিনি জানান, "সাইকেল চালাচ্ছিলাম, ভিডিওটা দেখে খাদে পড়ে গেলাম। উদ্ধারকারীরা আমাকে উদ্ধার করতে এসে ভিডিওটা দেখল। তারাও হাসতে হাসতে খাদে পড়ে গেল।" বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ফেসবুক ইউজাররা। সাইদুল ইসলাম নীরব লিখেছেন, "ভিডিওটা দেখে আমি বেহুশ হয়ে ছিলাম দুই ঘণ্টা। পরে অনেক কষ্টে কাঁপা কাঁপা হাতে একটি হাহা বিয়্যাক্ট দিলাম। এখন আমি আগের চাইতে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি।" আশিকুর রহমান ইমনের লেখা কমেন্টটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, "বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় বিটিভিকে আবারও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। অনেকদিন পর আমার মনেহল আমি আবার ছোটবেলার আলিফ লায়লা দেখছি। ধন্যবাদ।" দেশে ফকির মিসকিন নেই এই দাবির পক্ষে দ্বিমত পোষণ করলেও দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য শুভকামনা জানাতে দেখা যায় কয়েকজনকে। তাদেরই একজন, মানজুর ই খোদা। তার ইংরেজিতে লেখা কমেন্টটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, "ইনশাল্লাহ খুব শিগগিরই এমন একটা সময় আসবে যেদিন আমাদের দেশ ফকির মিসকিনমুক্ত হবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমার দেশে এখনও অনেক ফকির রয়েছে। যেকোনো জুম্মার দিন ঢাকার যেকোনো মসজিদের সামনে মানুষ প্রতিদিন এমন অনেককে দেখতে পান। আশা করি সরকার তাদের সবার পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। দারিদ্র দূরীকরণে সরকার যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এজন্য তাদের শুভকামনা।" বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ফেসবুক ইউজাররা। এই কমেন্টের জবাবে এহসানুর রহমান জনগণের দায়বদ্ধতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, "আমি আপনার সঙ্গে একমত। বাংলাদেশের বয়স ৪৭ বছর। এখন দেশের মানুষকে সুযোগ সুবিধা দেয়ার সময় এসেছে। স্বাধীনতার পর পর ১৯৮০ সালে সরকারের উচিত ছিল স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে বেশি বেশি বিনিয়োগ করা। এখন সময় এসেছে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো। হ্যাঁ, এটা আমাদের দেশ, জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধানে এবং সরকারকে সাহায্য করতে আমাদের সবার চেষ্টা করতে হবে।" তবে বিজ্ঞাপনটির দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন। তাদেরই একজন জুলফিকার হাসান পিয়াস। তিনি বলেন, "দেশের অর্থনীতি কতোটা এগিয়ে গেছে তা অর্থনীতি বোঝেন বা অর্থনীতি বিষয়ে সামান্য জ্ঞান আছে অথবা নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা থেকে যেকোনো সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন। অথচ আমাদের দ্বিধাবিভক্ত সমাজ সেখানেও খুঁজে পেয়েছে হাসির খোরাক। দু:জনক ছাড়া আর কিছুই নয়।" বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ফেসবুক ইউজাররা। এই বিজ্ঞাপনের প্রচার ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশের টেলিভিশনের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনটি প্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এর পরিকল্পনার বিষয়ে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিজ্ঞাপনটির বিষয়বস্তু বাস্তবতাকে সমর্থন করে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। | বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি সরকারি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটির একটি জায়গায় বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমানে কোন ফকির মিসকিন নেই। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিয়মিত চলাচলের ক্ষেত্রে বাসের ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে মাস্ক পরা, যতো আসন তার বেশি যাত্রী না নেয়াসহ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশে যে হারে মানুষ বাসে চলাচল করে এসব শর্ত মেনে তারা আদৌ বাস পরিচালনা করতে পারবেন কিনা এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বাস মালিক এবং নিয়মিত বাসযাত্রীরা। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় গণপরিবহন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিলে বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশে গত পহেলা জুন থেকে এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী নেয়া এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। এ কারণে বাসের ভাড়াও ৬০% বাড়ানো হয়। শুরুর দিকে বাসের কর্মচারীরা এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও দুই সপ্তাহ যেতে না যেতে বাসগুলো আগের মতোই গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা শুরু করে এবং ভাড়াও দ্বিগুণ রাখে বলে অভিযোগ করেন নিয়মিত বাসযাত্রী রাকা চৌধুরী। এখন সরকার বাসের ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি সেটাকে স্বাগত জানালেও এতে বাস কর্মচারীরা অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। "দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েও তারা নিয়ম মানে না, তাহলে বেশি ভাড়া কেন দেবো?। আমরা যাত্রীরা প্রতিবাদ করতাম শুরুতে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত বা পুলিশের চেকপোস্ট থাকলে তারা স্টপেজের আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। আমরাও সহ্য করেছি। এখনও ঝুঁকি নিয়েই চলছি কি করবো, প্রতিদিন গাড়িতে বা সিএনজিতে চড়ার সামর্থ্য তো নেই।" বাংলাদেশে পহেলা জুন থেকে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া সত্ত্বেও বাস মালিকরা স্বাস্থ্যবিধিও তোয়াক্কা না করায় যাত্রী অধিকার সংগঠনগুলো সম্প্রতি বাসের ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানায়। তারই প্রেক্ষিতে আজ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহন আগের ভাড়ায় চলবে বলে ঘোষণা দেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাসে যতো সিট ততজনের বেশি যাত্রী না তোলা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজের ব্যবস্থা রাখা, ট্রিপের শুরু এবং শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করাসহ কিছু শর্ত বেঁধে দেয়া হয়। কোন বাস এসব নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন মি. কাদের। তিনি বলেন, "ভাড়া বাড়ানোর পরেও অনেক বাস আরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে, গাদাগাদি করে যাত্রী তুলেছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এবার নিয়ম মানতেই হবে। আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে কার্যক্রম জোরদার করতে বিআরটিএকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশকে তদারকির অনুরোধ জানাচ্ছি।" এদিকে বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠী নিয়মিত যাতায়াতে ক্ষেত্রে বাসের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আগের ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস পরিচালনা করা রীতিমতো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা এই দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে তিনি জানান। অনেকটা ক্ষুব্ধভাবেই তিনি বলেন, "এখন সব মানুষই তো কাজে যাবে, বাসে উঠবে। আমার স্টাফরা কিভাবে তাদের নামিয়ে দেবে? নামিয়ে দিলে স্টাফদের মারধোর করা হবে, গাড়ি ভেঙ্গে দেবে, সেটার ক্ষতিপূরণ তো সরকার দেবে না। এখন এই ভাড়ায় যদি বাস চালাতেই হয় তাহলে সেটা তদারকির দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে। এটা আমরা পারবো না। আমরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।" ঢাকার একটি রাস্তায় যান চলাচল এছাড়া ট্রেন বা বিমানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দায় যাত্রীদের ওপর বর্তালেও বাসের ক্ষেত্রে কেন সেই দায় শুধু মালিকদের ওপর চাপানো হচ্ছে সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। "বাজারে মানুষ ভিড়, জাহাজে, ট্রেনে গাদাগাদি করে লোক উঠছে, বিমানের সব সিট ফুল। কিন্তু সব বিধিনিষেধ হবে বাসকে নিয়ে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেটার জরিমানা তো সরকার দেয় না, যাত্রীকেই দিতে হয়। তাহলে বাসের জরিমানা ড্রাইভার দেবে কেন? এই আইনটা সমান করে দিক তাহলে।" বলেন মি. রাঙা। এদিকে বাংলাদেশে যেখানে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার এখনও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী সেখানে বাসগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোরভাবে তদারকির পরামর্শ দেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাহফুজা রিফাত। "এখন করোনাভাইরাস সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়েছে, ঢাকায় এটার প্রকোপ এখনও অনেক বেশি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি সে হিসেবে এখনই আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময় আসেনি। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা এতো বেশি বাসে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুব কঠিন। তারপরও যতোটা সম্ভব সেটা যেন প্রতিপালন করা হয় এজন্য সরকারের নজরদারি অনেক বাড়াতে হবে।" আরও পড়তে পারেন: 'সব অফিস খুলে দিয়ে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক' গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে কি? সব কিছু চালু হবার পর ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অনুসরণে ঢিলেঢালা বাংলাদেশে বেশিরভাগ অফিস চালু হওয়ায় সেইসঙ্গে কম পয়সায় অন্য বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় বাসগুলোয় যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে। এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। | বাংলাদেশে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে গণ পরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | একজন নারী কিভাবে মসজিদ পরিচালনা করতে পারে সে নির্দেশনা নিয়ে একটি বই প্রকাশ হয়েছে ব্রিটেনে। যদি তাই হয় তাহলে কিভাবে এই কাজটি সম্ভব হবে? যারা ব্রিটেনের মসজিদে নারীদের অংশগ্রহণ বেশী দেখতে চান এই প্রশ্নগুলো তাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্রিটেনে মুসলিম নারীদের জন্য মসজিদ পরিচালনা ও সেবা কার্যক্রমের নির্দেশনা নিয়ে একটি বইও প্রকাশ করা হয়েছে যেটি নারীদের কাজে আরও সহায়তা করবে বলা হচ্ছে। কিন্তু মুসলিম কমিউনিটিতেই অনেকে এর বিরোধিতা করেন, তাঁরা মনে করেন যে নারীদের মসজিদে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। বিবিসির এশিয়ান নেটওয়ার্কের সংবাদদাতা এ সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন সাউথঅল নামের একটি এলাকায়। সেখানকার সেন্ট্রাল জামে মসজিদে সবচেয়ে বেশি এশিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিকরা যায়। ব্রিটেনের বেশিরভাগ মসজিদই পরিচালনা করে পুরুষেরা। তবে মসজিদে নারীদেরও আসা যাওয়া রয়েছে। সেন্ট্রাল জামে মসজিদের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া বিসমিল্লাহ প্রায় ছয়শো শিশুকে শিক্ষাদান করেন। তিনি বলছিলেন, “সব সিদ্ধান্ত পুরুষেরাই নেই। পরিচালনা কমিটিতে যারা আছে তারা অনেক বয়স্ক। পুরুষতো বুঝবেনা একজন নারীর কী প্রয়োজন, সেটা শুধু একজন নারীই বুঝবে"। এবং এ কারণেই বিভিন্ন নির্দেশনা নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে যেন মসজিদ পরিচালনার সঙ্গে অনেক বেশি নারী সম্পৃক্ত হতে পারে। কোরানের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বইটিতে বলা হয়েছে মসজিদেও নারীদের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানানো উচিত।এখান থেকে তারা কিভাবে তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারে সেটিও বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। | ব্রিটিশ মসজিদগুলো পরিচালনায় কি বেশি সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেয়া উচিত? |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত শনিবার সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ঢাকার কাছে সোনারগাঁওয়ের একটি অবকাশকেন্দ্রে ঘেরাও হবার ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দেয়ার পর হেফাজতে ইসলামের সাথে সরকারের বিবাদ নতুন মাত্রা পেয়েছে। "প্রধানমন্ত্রী ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন" - আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেছেন সোমবার। তবে হেফাজতের একজন নেতা বলছেন, সরকার তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে হেয়-প্রতিপন্ন করে সংগঠনটিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে গত দু'সপ্তাহের ঘটনায় সরকারের সাথে হেফাজতে ইসলামের বিবাদ যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে - তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যে হেফাজতে ইসলামের সাথে আওয়ামী লীগের একটা প্রচ্ছন্ন সমঝোতা আছে বলে এতদিন বলা হতো - সেখানে এ সমস্যার মূল কোথায়? আরেকটা প্রশ্ন: সমস্যাটা কি পুরো সংগঠনটির সাথেই, নাকি এর বর্তমান নেতৃত্বের সাথে? হেফাজতে ইসলাম কতটা কোণঠাসা অবস্থানে? বিবাদের শুরু হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের নেয়া কর্মসূচীকে ঘিরে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মি. মোদী ঢাকা এসেছিলেন। একে কেন্দ্র করে হেফাজতের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংস রূপ ধারণ করে, এবং সেই সহিংসতায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ইসলামপন্থী দলটির অন্যতম শীর্ষ নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এক অস্বস্তিকর অভিযোগ ওঠে। হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার। পুলিশ বলছে, সোনারগাঁও এলাকায় একটি রিসোর্টে শনিবার বিকেলে মামুনুল হককে ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় কিছু লোক এবং ক্ষমতাসীন দল-সম্পৃক্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছেন। অন্যদিকে মামুনুল হক বলেন, মহিলাটি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর হেফাজতে ইসলামের সমর্থক এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা পাল্টা হামলা চালিয়ে সেখান থেকে মি.হককে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই হেফাজতে ইসলামের আদর্শ এবং তার নেতৃত্ব নিয়ে সরাসরি যে ধরনের বক্তব্য ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসছে - তাতে সরকারের কঠোর অবস্থান পরিষ্কার। তবে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির বলেছেন, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হেয়-প্রতিপন্ন করে সংগঠনটিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তিনি বলছেন, “সরকার তার দলীয় গুণ্ডাদের হেফাজতের নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। হেফাজত এবং ইসলামের পক্ষে যারা কথা বলে - তাদেরকে স্তব্ধ করার জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।” তার মতে, “মামুনুল হক যেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাই ওনাকে হেনস্তা করে জাতির সামনে মূল্যহীন করার জন্য, হেফাজতকে বস্তাবন্দী করার জন্য এটা তাদের ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।” নাছির উদ্দিন মুনির বলছেন, “আরো বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার সরকারের যে স্বপ্ন, মোদীকে এনে তা পাকাপোক্ত করার যে অশুভ উদ্দেশ্য, এর বিরুদ্ধে যেহেতু হেফাজত অবস্থান নিয়েছে সেজন্য হেফাজতে উপরে সরকার চড়াও হয়েছে।" কিন্তু হেফাজত এর আগে 'আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে' বলে সবাইকে মনে করিয়ে দেন মি. মুনির। সরকারের এই চাপের কাছে সংগঠনটি নতি স্বীকার করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। সরকারের বিবাদ কি হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বের সাথে? গত কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে পাঠ্য পুস্তকে পরিবর্তন, ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়া সহ হেফাজতে ইসলামের নানাধরনের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। সংগঠনটির প্রয়াত আমীর আহমদ শফীর সাথে একই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেয়া এবং এরপর প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামপন্থী বেশ কটি দলের পক্ষ থেকে 'কওমি জননী' বলে উপাধি দেয়া, সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছিল যে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলির মধ্যে হেফাজতে ইসলামের সাথেই সরকারের সবচাইতে বেশি সমঝোতার সম্পর্ক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: হেফাজতে ইসলাম ও সরকারের সম্পর্ক কি ভেঙ্গে গেলো? মামুনুলকে নিয়ে শেখ হাসিনা যা বললেন ও হেফাজত যে জবাব দিল সহিংসতার দোষারোপ মাথায় নিয়ে এখন কী করবে হেফাজত সরকারের সঙ্গে আহমদ শফীর সখ্যতা বাংলাদেশকে যতটা বদলে দিয়েছে হেফাজত ও আওয়ামী লীগ সখ্যতা: শুধু ভোটের জন্য? হেফাজতে ইসলামের চাপের মুখে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় সরকার। তবে গত বছর আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। এর পর থেকেই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সরাসরি সরকারের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। নরেন্দ্র মোদীর সফর তার সরাসরি বহিঃপ্রকাশ ছিল নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা আর সহিংস বিক্ষোভে। তার আগে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম। ভাস্কর্য বিরোধিতা সরকারের সাথে তাদের বোঝাপড়ায় 'ফাটলের ইঙ্গিত' বলে মনে করা হচ্ছিল। এখন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হেফাজত সরকারি দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আক্রমণের জন্য দায়ী করছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দিচ্ছে সরকার। বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে 'উগ্রবাদিতা' দেখা যাচ্ছে - মাহবুবুল আলম হানিফ প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের সাথে হেফাজতে ইসলামের এই বিবাদ কি আদর্শ নিয়ে, নাকি এর বর্তমান নেতৃত্বের সাথে? আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম বলছেন, “দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখা, সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হয়েছে। " নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাজপথ "হয়ত যারা আগে নেতৃত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও একটা সহনশীলতার মনোভাব ছিল, জঙ্গি মনোভাবাপন্ন ছিল না বিধায় সরকারের পক্ষে তাদের সহজে নিষ্ক্রিয় রাখা সম্ভব হয়েছিল।” কিন্তু এখনকার নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে মি. হানিফ বলছেন, “এখন যারা হেফাজতে আছে, বরাবরই এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ছিল, বেশিরভাগই স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে সরাসরি নিজেরা অংশগ্রহণ করেছে অথবা এখন তাদের সন্তান যারা তারা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। " মি. হানিফের মতে "সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে একদম জামাতে ইসলামের মতো উগ্রবাদিতা দেখা যাচ্ছে।" "এদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় এনে দমন করা ছাড়া সরকারের আর কোন বিকল্প নেই” - বলছেন তিনি। বিরোধী রাজনীতির নিষ্ক্রিয়তা ও হেফাজতের মাঠ দখলের চেষ্টা তবে এই সবকিছুর পিছনে কয়েক ধরনের রাজনীতি কাজ করছে বলে মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষক তারেক শামসুর রহমান। তিনি মনে করেন হেফাজতে ইসলাম একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান তৈরি করতে চায়। তার ভাষায়, “বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী শক্তির নিস্ক্রিয়তা রয়েছে। যারা সংসদে বিরোধী দলে রয়েছে, যারা মাঠের বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপি, তাদের কারো কাছ থেকে কোন সক্রিয় ভূমিকা আমরা দেখছি না। সরকার বিরোধী নিষ্ক্রিয়তা একটি শূন্যস্থান তৈরি করেছে।" "হেফাজতের যেভাবে উত্থান হয়েছে দেখছি, তারা এখন প্রমাণ করতে চাইছে যে তারাই পরবর্তী রাজনৈতিক শক্তি।” তিনি মনে করছেন, “হেফাজতে ইসলাম সরকারের মিত্র হিসেবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এখন সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে।” যদিও হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়ে থাকে যে তারা কোন রাজনৈতিক দল নয়। | বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামের একজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অস্বস্তিকর অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি এই সংগঠন ও তার নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ইন্দোনেশিয়ায় কবুতর খেলা খুব জনপ্রিয়, কিন্তু এটি সেখানকার মানুষের বৈবাহিক জীবন নষ্ট করছে। সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের পিটিশন হয়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩। কোর্ট -এর একজন কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন "যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত"। কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগিদের সাধারণত অর্থ পুরষ্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে হাজার রুপিতে বিক্রি করা যাবে। মিস আফলাহ বলছেন, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ার কারণে তাদের স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে। "পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই 'পাইলট' হিসেবে পরিচিত। এখানে 'পাইলট' মানে বিমান উড়ানো নয়। এইসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভালো প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টা মগ্ন থাকে" পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন নূর আফলাহ। এছাড়া, কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ। একজন গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তাকে দেয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: | ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশে বেড়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের হার। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ। দুবাই থেকে পারফিউম আমদানি করে কাতারে তিনি বিক্রি করেন। পারফিউমের এ ব্যবসা ভালোই চলছিল মি: সাজুর। প্রতিবছর রমজান মাসে পারফিউম বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। কাতারের সাথে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে এবার বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের এ ব্যবসায়ী। এসব দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে পণ্য আমদানি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তিনি। মি: সাজু বলেন, "দুবাইতে বিভিন্ন দেশ থেকে পারফিউম আসে। সেখান থেকে আমরা আমদানি করি। আমি যখন দুবাইতে কথা বললাম, তখন তারা জানালেন পারফিউম যাবে না" কারণ দুবাই থেকে কাতারে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। যদি এভাবে পণ্য না আসে তাহলে সেটি কাতারের মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মি: সাজু উল্লেখ করেন। সোমবার থেকে কাতারে স্থল পথে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। "আমাদের এখানে ( কাতারের দোহায়) সৌদি কাস্টমার অনেক। সড়ক পথে সৌদি আরবের সাথে আমাদের বর্ডার। সৌদি আরবের অনেক নাগরিক দোহা সিটি থেকে শপিং করে," বলছিলেন মি: সাজু। সৌদি আরব থেকে ক্রেতা আসলে দোহা শহরে ব্যবসা ভালো হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরব এবং কাতার মিলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে। মি: সাজু আশংকা করছেন, বর্তমান অচলাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পারফিউম ব্যবসায়ীরা। কারণ সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং আরব আমিরাতে পারফিউম শিল্প গড়ে উঠেছে। ফলে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত থেকে যদি সড়ক পথে পারফিউম আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটি ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি জানান, সোমবার দুপুর থেকেই সড়ক পথে পারফিউম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। আরো পড়ুন : ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য | বাংলাদেশের ব্যবসায়ী শরিফুল হক সাজু গত ১৮ বছর যাবত কাতারের রাজধানী দোহায় ব্যবসা করছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ফোনে কথা বলছেন জয়নাল আবেদিন। (ফাইল ফটো) কিন্তু ভোর বেলা থেকেই তার টেলিফোনে আসতে শুরু করলো একের পর এক ফোন কল। কলাররা সবাই জানতে চাইছে তারা কি ডিসকাউন্ট অফার গ্রহণ করে আইফোন-৮ বা শাওমি রেডমি নোট-৬ ফোনগুলো কিনতে পারবে? প্রথম দিকে এই কলগুলোকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও যে হারে ফোন আসতে শুরু করলো, তাতে মি. আবেদিন বুঝতে পারলেন যে কেউ তার ফোন নাম্বারটিকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে, যাতে তিনি ভোটের সময় তার নির্বাচন কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে নাজেহাল করার এমন অভিনব কৌশলের ঘটনা এর আগে জানা যায়নি। বিবিসি বাংলার সাথে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জয়নাল আবেদিন জানান, "গত ৩০শে ডিসেম্বর দুটি জাতীয় পত্রিকার ভেতরের পাতায় নামীদামী কোম্পানির মোবাইল ফোন সেটের ওপর 'ডিসকাউন্ট' অফার দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনে আমার বর্তমান ফোন নম্বর এবং আমার একটি পুরোনো নাম্বার, যেটি আমি এখন ব্যবহার করি না, সেগুলো ছাপিয়ে দেয়া হয়।" পত্রিকায় যে বিজ্ঞাপন ছাপা হয় তাতে বলা হয়, ১৭,৯৯৯ টাকার শাওমি রেডমি নোট-৬ ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি হবে ৭,০০০ টাকায়। পত্রিকায় ছাপানো চারটি বিজ্ঞাপন। আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমা দেশের মোলায়েম প্রতিক্রিয়ায় আশাহত বিরোধীদল নতুন জাতীয় সংসদে কারা হতে পারবে বিরোধী দল? শবরীমালা মন্দিরের প্রাচীন প্রথা ভাঙলেন দুই নারী যে আইফোন-৮ এর দাম ৯২,০০০ টাকা সেটি বিক্রি হবে মাত্র ৩২,০০০ টাকায়। দুটি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটর সাইকেলও বিপুল হারে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি করার কথা বিজ্ঞাপনগুলিতে ঘোষণা করা হয়। ভোটের দিনের সেই পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে মি. আবেদিনের ছেলে জাবেদ ইকবাল বলছিলেন, নির্বাচনের দিন ভোরবেলা থেকেই মি. আবেদিনের মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে সারাক্ষণ ফোন আসতে থাকে। "কলাররা এমন সব ডিসকাউন্টের কথা বলছিল, যার সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণাই ছিল না। এসব কলের অত্যাচারে আমরা না পারছিলাম নেতাকর্মীদের কল রিসিভ করতে, না পারছিলাম কাউকে ফোন করতে।" "পরে একসময় একজন কলারের সাথে বিস্তারিত কথা বলে জানতে পারলাম পুরো ঘটনা," বলছিলেন জাবেদ ইকবাল। পত্রিকা দুটির ভেতরের পাতায় যে চারটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে তাতে বিএনপি প্রার্থীর দুটি মোবাইল নাম্বার ছাড়াও আরও একটি ফোন নাম্বার দেয়া হয়েছে যেটি এক সময় ব্যবহার করতেন ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। "এবারের নির্বাচনে আমরা নানামুখী চাপের মধ্যে ছিলাম," বলছিলেন জাবেদ ইকবাল , "ভোটের সময় প্রতিপক্ষ নানা ধরনের চাল চেলে থেকে। কিন্তু এধরনের কৌশলের কথা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।" নির্বাচনী প্রচারে জয়নাল আবেদিন। কে বা কারা এই কাজ করেছে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কোন লাভ হবে না বলে মনে করছেন না মি. ইকবাল। অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী পেয়েছেন দুই লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ ভোট। আর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী মি. আবেদিন এবার পেয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ৭৮৪ ভোট। এক নজরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল | ভোটের দিন সকাল। ফেনী-২ আসনে লড়তে তৈরি হচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, যিনি ভিপি জয়নাল নামেই বেশি পরিচিত। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.