instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আজমল কাসবের প্রতীকি ফাঁসি দিচ্ছে মুম্বাইয়ের একটি সংগঠন রাকেশ মারিয়া তার সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনীতে বলেছেন, আজমল কাসাব নামে যে জঙ্গী সে দিন জীবিত ধরা পড়েছিল, তার কাছে হিন্দু নামের জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছিল - এমন কী নিজেকে হিন্দু প্রমাণ করতে সে হাতে গেরুয়া সুতোও বেঁধেছিল। তিনি এই তথ্য প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে শাসক দল বিজেপি বলছে, হিন্দু সন্ত্রাসের নামে কংগ্রেস যে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে এটা তারই প্রমাণ। অন্যদিকে কংগ্রেসের বক্তব্য, জঙ্গীরা সব সময়ই জাল পরিচয়পত্র নিয়ে ঘোরে - তা থেকে কোনও উপসংহারে পৌঁছনো যায় না। রাকেশ মারিয়া মুম্বাইয়ের একজন ডাকাবুকো 'সুপারকপ' হিসেবেই পরিচিত - শহরের পুলিশ-প্রধানের দায়িত্ব সামলানো ছাড়াও তিনি বহু হাই-প্রোফাইল মামলার তদন্তেরও দায়িত্বে ছিলেন। রাকেশ মারিয়া 'লেট মি সে ইট নাও' নামে তার যে স্মৃতিকথা সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তিনি এমন কিছু দাবি করেছেন যা নিয়ে ভারতে শোরগোল পড়ে গেছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৬/১১-র হামলায় সব জঙ্গীকেই হিন্দু সাজিয়ে সেটিকে একটি 'হিন্দু সন্ত্রাসে'র চেহারা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। জীবিত ধরা পড়া আজমল কাসাবের কাছে ব্যাঙ্গালোর নিবাসী ছাত্র 'সমীর দীনেশ চৌধুরী'র নামে যে জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছিল - ও তার হাতে যে লাল ও গেরুয়া ধাগা বাঁধা ছিল, তাতেই সেটা প্রমাণিত বলে তিনি দাবি করেছেন। বিজেপি ও আরএসএসের শীর্ষস্থানীয় নেতা রাম মাধব বলছেন, "পাকিস্তানের আইএসআই যে একে হিন্দু সন্ত্রাস হিসেবে সাজাতে চেয়েছিল, রাকেশ মারিয়ার বই প্রমাণ করে দিয়েছে যে সে চেষ্টা সফল হয়নি।" "কিন্তু দু:খের ব্যাপার হল, কিছু কংগ্রেসের নেতাও তখন এই ষড়যন্ত্রে সামিল হতে চেয়েছিলেন।" ২৬/১১-র হামলার পর মুম্বাইয়ের চার্চগেট স্টেশন, যেখান থেকে ধরা পড়েছিল আজমল কাসব "মুম্বাইয়ের হামলা আসলে হিন্দুদের ও আরএসএসের কাজ বলে অনেক বুদ্ধিজীবীই সেদিন দাবি করেছিলেন, আর কংগ্রেস তাদেরকে সমর্থনও করেছিল।" বিজেপির ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও দাবি করেছেন, তখনকার কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নেতৃত্বেই এই 'হিন্দু সন্ত্রাসে'র কনসেপ্ট পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছিল। রাকেশ মারিয়ার বই নিয়ে মি. চিদাম্বরম নিজে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি, তবে পার্লামেন্টে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলছেন - মক্কা মসজিদে বা সমঝোতা এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনায় যেভাবে হিন্দু জঙ্গীদের নাম জড়িয়েছিল, তা থেকেই কিন্তু এই শব্দবন্ধটির জন্ম। অধীর চৌধুরীর কথায়, "হিন্দু সন্ত্রাসবাদী কথাটার যেভাবে উৎপত্তি - তার ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা।" "যুক্তির তালগোল পাকিয়ে আসল কথাটাকে ঘুরিয়ে দিলেই তো হল না!" বিজেপির দাবি, হিন্দু সন্ত্রাসের থিওরি সারেবক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের মস্তিষ্কপ্রসূত "জঙ্গীরা তো আর জঙ্গী পরিচয়ে কোথাও ঢোকে না, তারা চিরকালই ছদ্মবেশ নিয়ে চলাফেরা করে।" "মুম্বাইতেও হয়তো তাই হয়েছিল - তারা ক্যামোফ্লাজ করে নিজেদের পরিচয় লুকোনোর চেষ্টা করেছিল, কারণ সেটাই ওদের কাজ", বলছেন অধীর চৌধুরী। তথাকথিত 'হিন্দু সন্ত্রাস' নিয়ে নতুন করে এই রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছেন সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় দন্ডিত আসামি প্রজ্ঞা ঠাকুরও। এই হিন্দু সন্ন্যাসিনী বর্তমানে জামিনে আছেন এবং বিজেপির টিকিটে ভোপাল থেকে জিতে পার্লামেন্টেও গেছেন। বিজেপির এই বিতর্কিত এমপি-র বক্তব্য, হিন্দু সন্ত্রাস বলে আসলে যে কিছু নেই - রাকেশ মারিয়ার বই সেটাই প্রমাণ করেছে। হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদ। এখানে বিস্ফোরণেও নাম জড়ায় হিন্দু জঙ্গীদের তিনি বলছেন, "আমার কথা বিশ্বাস না করুন - মারিয়াজির কথা তো এখন আপনারা মানবেন।" "আমি চিরকালই বলে এসেছি, হিন্দু সন্ত্রাস জিনিসটাই কংগ্রেসের বানানো একটা গল্পকথা, এখন সেটাই আরও একবার প্রমাণ হল।" "একটা জিনিস কেন কংগ্রেস বোঝে না যে এসব কথাবার্তায় আমাদের প্রতিবেশী শত্রু রাষ্ট্রেরই মনোবল বাড়ে!", বলছেন তিনি। স্পষ্টতই, বিজেপি তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেই রাকেশ মারিয়ার বইকে ব্যবহার করে প্রমাণ করতে চাইছে - হিন্দুরা কখনও জঙ্গী হতে পারে না। তবে সেখানে যে যুক্তির যথেষ্ট ফাঁক আছে, সেটাও কিন্তু পরিষ্কার। | দু'হাজার আট সালে মুম্বাইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গী হামলাকে লস্কর-ই-তৈয়বা একটি 'হিন্দু সন্ত্রাসে'র চেহারা দিতে চেয়েছিল বলে দাবি করেছেন শহরের একজন সাবেক পুলিশ কমিশনার। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একটি সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।'' ধারণা করা হচ্ছিল, এই দুজনের বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে অগ্রগতির খবর আসবে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প জানান, তৃতীয় সম্মেলনের কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। উত্তর কোরিয়ার ইয়াংবিয়ন পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার বদলে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি করছেন মি. কিম, কিন্তু যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত নয়, বলছেন মি. ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের কর্মসূচীর তালিকায় ছিল একটি যৌথ সমঝোতা স্বাক্ষর কর্মসূচী এবং দুই নেতার দুপুরের হালকা লাঞ্চ। কিন্তু দুটোই শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, যেকোনো নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগে সবরকম পারমাণবিক কর্মসূচী বর্জন করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে, কিন্তু এটি উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি কঠিন শর্ত। আরো পড়ুন: ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিম বৈঠক: জেনে রাখতে পারেন যেসব তথ্য ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিষ্কার উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন একটি সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।'' এই ব্যর্থতাকে নিজ স্টাইলে সমঝোতা তৈরিকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে, যিনি তার ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের স্বীকারোক্তির পর নিজ দেশেও সংকটে আছেন। তবে হ্যানয় বৈঠকে কোন সমঝোতা না হলেও এটিকে দুই দেশের নেতৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এই দুই নেতা পরস্পরকে উদ্দেশ্য করে হুমকি ছুড়ে দিয়েছিলেন। কিম জং-আনকে ''ছোট্ট রকেট ম্যান'' বলে ডেকেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে মি. ট্রাম্পকে ''মানসিক বিকারগ্রস্ত আর ভীমরতিগ্রস্ত ব্যক্তি'' বলে বর্ণনা করেছিলেন মি. কিম। হ্যানয়ে বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প বলেছেন, মি. কিম একজন ভদ্রলোক এবং তাদের সম্পর্ক বেশ শক্ত। এই সম্মেলনের আগে ধারণা করা হচ্ছিল যে, ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অবসানের বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা আসবে। কোনো শান্তি চুক্তি ছাড়াই ওই যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: আলোচনার কেন্দ্রে যে পাইলট উত্তেজনা-সংঘাতের পর কাশ্মীরের সর্বশেষ যে অবস্থা ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যা হতে পারে ৮০৭ রান, ৪৬ ছক্কা: বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ম্যাচ আর কয়টি আছে? | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের মধ্যে বৈঠকটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়ে গেছে কারণ উত্তর কোরিয়ার দাবি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সামাজিক চাপের মুখে প্রথা ভেঙ্গে যৌনকর্মীর জানাজা পড়ানো সেই ইমাম ভবিষ্যতে আর কোন যৌনকর্মীর জানাজা না পড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দৌলতদিয়া রেলস্টেশন মসজিদের ইমাম গোলাম মোস্তফা বিবিসিকে বলছেন, হামিদা বেগমের জানাজা পড়ানোর পর তিনি স্থানীয়ভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যদিও যৌনকর্মীদের জানাজা বা দাফনের ব্যাপারে কোন ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে কি না, তেমন কিছু উল্লেখ করছেন না মি. মোস্তফা, কিন্তু তিনি বলছেন তিনি এই জানাজা পড়াতে রাজি ছিলেন না, স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি পড়িয়েছিলেন। বিবিসিকে তিনি বলছেন, "এইখানে তো সমালোচনা হচ্ছে। গ্রামের লোক, দোকানদার সবাই আমার সমালোচনা করছে। এতোদিন জানাজা হয় নাই, আমি কেন হঠাৎ করে জানাজা পড়াইলাম?" "ভবিষ্যতে আর জানাজা পড়ানোর নিয়ত নাই। বিভিন্ন আলেমের সঙ্গেও কথা বলছি। তারাও নিষেধ করছে। পল্লীর লোকেরা অন্য কাউকে দিয়ে জানাজা, দাফন করাইতে পারে। কিন্তু আমাকে পাবে না।" প্রথা ভেঙে যৌনকর্মীর জানাজা এবং ধর্মীয় রীতিতে দাফনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর এই ঘটনাটি যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে তা দেখতে দৌলদিয়া গিয়েছিলাম আমি। সেখানে গিয়েই জানতে পারলাম ইমাম গোলাম মোস্তফার সামাজিকভাবে নিগ্রহ হবার হবার খবর। বাংলাদেশে যৌনপেশা বৈধ হলেও এই পেশাজীবীদের খারাপ চোখে দেখা হয়, সমাজ থেকে তারা একরকম বিচ্ছিন্নও থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙ্গে একজন যৌনকর্মীর জানাজার ঘটনা তাদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে কতটা কাজ করবে? যৌনকর্মীরা নানাভাবে বঞ্চণার শিকার হন বাংলাদেশে। মর্যাদার সঙ্কট: পঁচিশ বছর ধরে দৌলতদিয়ার পতিতাপল্লীতে আছেন রানু বেগম (ছদ্মনাম)। এই পল্লীতেই জন্ম দিয়েছেন একে একে ৪টি সন্তানের। দীর্ঘ জীবনের হিসেব মিলিয়ে প্রাপ্তির খাতায় বঞ্চণা আর অপমান ছাড়া কোন কিছুই দেখেন না তিনি। তিনি বলছিলেন, "এই জগতটা তো দেখা হয়ে গেছে আমার। কিছুই নাই। শুধু অপমান।" "এখনো যদি ধরেন আমরা রাস্তায় বা গ্রামের দিকে যাই, কয় কি যে ঐতো অমুক জায়গা থিকা অমুক মানুষ আইছে। আমাগো দেখলে দরজা আটকায় দেয়, বাড়ির উপর দিয়া গেলে কয় এখান দিয়া যাইবা না। অন্য রাস্তা দিয়া ঘুইরা যাও। আমরা এইসব কথা শুইনাও না শুনার মতোন কইরাই থাকি।" তিনি জানাচ্ছেন, আগে গ্রামবাসী নিয়ম করে দিয়েছিলো কোন যৌনকর্মী বাইরে বের হলে খালি পায়ে বের হবে। তবে এখন অবশ্য সে নিয়ম আর নেই। রানু বেগম যে মানবিক মর্যাদার সঙ্কটের কথা বলছেন, এই পল্লীর সকলকেই সেই সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয় কোন না কোনভাবে। ফলে এই পেশার সঙ্গে জড়িতরা সবসময়ই চেষ্টা করেন নিজেদের বাইরের জগত থেকে আড়াল করে রাখতে। এমনকি বাইরের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও নিজেদের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন রাখতে হয়। যেমন মাত্র ৬ মাস আগেই অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বৃষ্টি আক্তার (ছদ্মনাম)। তিনি বলছেন, চিকিৎসা নেয়ার সময় নিজে থেকেই পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। "আমি ঠিকানা দিছি দৌলতদিয়া। কিন্তু আমাদের পল্লীর ঠিকানা হইলো পূর্বপাড়া। আমার নামও দিছি অন্য।" প্রয়াত যৌনকর্মী হামিদা বেগমের কবর। দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙ্গে ধর্মীয় রীতিতে যার জানাজা হয়েছে। "আসল পরিচয় যদি দেই আমি তাহলে তারা তো জানবে আমি কে। আমাকে তখন খারাপ জানবে। আর খারাপ জানলে তো খারাপভাবেই দেখবে।" দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীরা শুরু থেকেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হলেও তেমন কোন নাগরিক সুবিধা নেই তাদের। বয়স হয়ে গেলে নিদারুণ সমস্যায় পড়েন অনেকেই। কিন্তু এসব কিছু ছাপিয়ে মৃত্যুর পরও ধর্মীয়ভাবে দাফন-কাফনের অধিকার না পাওয়ার হতাশা দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ করে এসেছেন তারা। তবে বছরের পর বছর না হলেও হামিদা বেগমের জানাজা ও দাফন ধর্মীয় রীতি মেনে সম্পন্ন হলে, যৌনকর্মীদের মধ্যে তো বটেই আলোড়ন তুলেছে এর বাইরেও। পাপের বোঝা কার? বাংলাদেশে যৌনপেশাকে সামাজিকভাবে খারাপ চোখে দেখা হলেও হামিদা বেগমের ছেলে বলছেন, তারা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আটকে থাকতে চাননি। "আমার মা যেখানেই থাকুক, যে কাজই করুক, তার একটা পরিচয় আছে যে সে মানুষ। আমরাও মানুষ, আমরাও মুসলমান। আমরা চাইছিলাম মৃত্যুর সময়টাতে যেনো অন্ততঃ মানুষ হিসেবে সম্মান পাই। সেই জন্যেই আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছিলাম।" এটা নিয়ে যৌনকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে বাইরে এর সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর। যদিও এর কোন যৌক্তিকতা খুজে পান না যৌনকর্মীদের একজন নেত্রী। তিনি বলছিলেন, এদেশের সমাজ পাপের বোঝা শুধু যৌনকর্মীদের উপরই চাপাতে চায়। তিনি বলছেন, "পাপতো এখানকার মেয়েরা একলা করতেছে না। তারা করতেছে পেটের দায়ে, ক্ষিদার চাহিদা মেটানোর জন্য। আর আপনি আসতেছেন আপনার মনোরঞ্জন করার জন্যে। তাহলে পাপটা কার হইতেছে?" "এইখানে যৌনপল্লীতে ধর্মের বিধান ভাইঙ্গা আসে কারা? আপনারা। তাইলে আপনাদের যদি সমাজে মাটি হয়, তাইলে আমাদের হবে না কেন?" বিরূপ এলাকাবাসী দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীরা আশাবাদি যে, হামিদা বেগমের জানাজার পর সেটা হয়তো যৌনকর্মীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে কাজে দেবে। কিন্তু বাস্তবে পল্লীর বাইরে খোঁজ নিতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এর উল্টো মনোভাবই দেখা গেলো। যৌনপল্লীর পাশেই দৌলতদিয়া রেল স্টেশন। সেখানেই স্টেশন মসজিদের কাছে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। এর মধ্যে হামিদুল ইসলাম নামে একজন জানালেন, যৌনকর্মীর পেশাটাই যেখানে ধর্ম সমর্থন করে না সেখানে সারাজীবন সেই পেশায় থেকে শেষ সময়ে ধর্মের দরকার কী? তিনি বলছেন, "ঐখানে তো অন্য মানুষজন থাকে। ঐটা তো আলাদা জায়গা। পতিতালয়। সেইখানে ধর্মীয়ভাবে জানাজা হয় কিভাবে?" মনির হোসেন নামে আরেকজন বেশ ক্ষিপ্ত। তার ক্ষোভ ইমাম সাহেব কেন জানাজা পড়ালেন সেটা নিয়ে। তিনি বলছেন, "হুজুর তো আগে আমাদের সমাজ থেকেই মত গঠন করবে। জানাজায় নেয়া যাবে কি-না, সেইটা তো গ্রামের লোক বসে পদ্ধতি ঠিক করবে। তারপরে সে আমাদের মর্জি নিয়ে সেখানে যাবে। তাকে তো ইমামের দায়িত্বে রাখছি আমরা। সে একাএকাই কেন গেলো?" এবার বোঝা গেল ইমাম গোলাম মোস্তফা কোন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে আর কখনো কোন যৌনকর্মীর জানাজা না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। | এমাসের গোড়ার দিকে প্রথা ভেঙে দৌলতদিয়ার একজন যৌনকর্মীর জানাজা পড়িয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন যে মসজিদের ইমাম, তিনি বলছেন, তিনি ভবিষ্যতে আর কখনো কোনো যৌনকর্মীর জানাজা পড়াবেন না। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ঢাকায় জাতীয় পার্টির প্রধানের বাড়িতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মি. এরশাদ এই ঘোষণা করেন। তার 'বোন' শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মহাজোটের সিদ্ধান্তকে মনে নেবে বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন। জাতীয় পার্টির প্রধান এই সাবেক সামরিক শাসক এবার শুধুমাত্র একটি আসনে (রংপুর-৩) নির্বাচন করছেন। এর আগে এক নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মি. এরশাদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যান এবং ১৭ দিন পর বুধবার রাতে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পরের দিনই ঢাকার আসনটি থেকে তিনি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন। মি. এরশাদ এই আসন থেকে সরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এখন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (বিজেপি)-এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ এবং সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সংবাদ সম্মেলনে সামগ্রিক নির্বাচন পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক বর্ণনা করে মি. এরশাদ বলেন, ১৪৬টি আসনে তার দলের উন্মুক্ত প্রার্থীরা মহাজোটকে সমর্থন জানাবেন। তবে যেসব জায়গায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে সেখানে দলীয় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হবে না। মি. এরশাদের সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী নায়ক ফারুক ঢাকার বারিধারায় তার সাথে দেখা করেন। সম্পর্কিত খবর: আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির 'বিচিত্র' আসন ভাগাভাগি এরশাদ অসুস্থ, সরকারের সাথে আলোচনা করে কে? সংসদ নির্বাচন: ক্ষোভ-অসন্তোষ জাতীয় পার্টিতে | বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে সমর্থন করে ঐ আসনে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশে কমিউনিটি পর্যায়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়। আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম ১০০ জনে পৌছাতে সময় লাগে ২৮ দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই চিত্রে পরিবর্তন আসে। রবিবার ১৩৯ জনের দেহে আর আজ সোমবার ১৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা পুরো চিত্র নয়। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়ানো হবে আক্রান্তের সংখ্যাও তত বেশি পরিবর্তন হবে। "আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা খুবই সীমিত। আমরা যদি একদিনে এক হাজার নমুনা পরীক্ষা না করে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারতাম তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা পুরো পাল্টে যেতো। বিশাল আকার হতো," তিনি বলেন। তিনি মনে করেন, যে পরীক্ষা হচ্ছে তাতে বোঝা যাবে না যে দেশে কত রোগী আছে। বরং এটা দিয়ে বোঝা যাবে যে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী দেশে কত রোগী আছে তার হিসাব বের করতে হলে ১০-২০ হাজার পরীক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি। চীনের পর যেসব দেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সেখানে প্রথম সংক্রমণের পর ৩৮ থেকে ৭৬ দিনের মাথায় একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৭৬ দিনের মাথায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত পাওয়া যায় ৩২,১০৫ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৬৭তম দিনে, ফ্রান্স ৬৬, জার্মানি ও স্পেনে ৬১, ইতালি ৫৩, ইরানে ৪২, এবং নেদারল্যান্ডসে ৩৮ তম দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আক্রান্তের সব ধরণের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে ধারণা করা যেতে পারে যে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ কিংবা মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের সংখ্যা চূড়ায় পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদও বলেছেন এই কথা। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশের যে ট্রেন্ড দেখছি তা এক্সপোনেনশিয়াল পর্যায়ে রয়েছে বা এটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।" পিক বা চূড়ায় পৌঁছানো বলতে বোঝায় যে, ক্রমাগত সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার যে পর্যায় সেটি চলতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে এই হার সর্বোচ্চ হবে। আর তার পরই সংক্রমণের হার নেমে আসবে। ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, "সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভাবছি, এটা হয়তো মে মাসের প্রথম দিকে বা মাঝামাঝি নাগাদ আমরা পিকটা আশা করতে পারি।" তবে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়া বা সংক্রমণ কবে নাগাদ চূড়ায় উঠতে পারে সে বিষয়ে কোন কিছু বলতে চাইছে না আইইডিসিআর। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট করে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়। "আমাদের এখন রাইজিং ট্রেন্ড অর্থাৎ সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আমাদের ঝুঁকি দিন দিন আরো বাড়ছে। পিক এ কবে পৌঁছাবে, সেটা এখন আমি বলবো না," তিনি বলেন। তার মতে, এখন কোন ধরণের ধারণার কথা বললেও আসলে শেষমেষ তা কাজে নাও আসতে পারে। "যদিও আমরা একটা মডেলিং করে প্রেডিকশন করেছি, কিন্তু সেটা নিয়ে আমরা এখনই কোন মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এখনও সে সময় আসেনি।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের অন্য দেশের মতোই করোনাভাইরাসের মতো মহামারি সামাল দিতে যেহেতু হাসপাতাল ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, তাই সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে খেয়াল রাখতে হবে যাতে, মারাত্মকভাবে সংক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা সীমিত রাখা যায়। এ বিষয়ে ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ৮০ ভাগ মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও ২০ ভাগ মানুষের হাসপাতালে সেবা নেয়ার দরকার হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ এক সময় চূড়ান্তে পৌঁছালেও কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরের মতো পদক্ষেপ নিয়ে এই হার নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। | বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। এর পর থেকে আজ ৩৫তম দিন চলছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | হাজার বছর ধরে পৃথিবীকে রক্ষা করে আসছে সুপার হিরোরা সুপারহিরো বলতে সবাই হয়তো সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান বা ওয়ান্ডারওম্যানের মত জনপ্রিয়, পরিচিত চরিত্রদেরই বোঝেন। কিন্তু হাজার বছর আগে গ্রীক, রোমান ও নরওয়েজিয়ান মানুষেরা তাদের নিজস্ব সুপারহিরোদের তৈরি করেছিল অতিমানবীয় শক্তি দিয়ে। এই পৌরাণিক মহাশক্তিধরদের এখনকার মার্ভেল এবং ডিসি ফুটিয়ে তুলেছে মানুষের সামনে। ১. অতিমানবীয় শক্তি (হাল্কের মতো) হারকিউলিস। সুপার হিরোদের জনপ্রিয়তার কখনোই কমতি ছিল না প্রকাণ্ডদেহী হারকিউলিস মার্ভেল কমিকসের একজন তারকা এবং ডিজনি এনিমেটেড সিনেমার একটি চরিত্র হলেও কিংবদন্তী হারকিউলিস আসলে হাজার বছরের পুরনো। প্রাচীন গ্রিক দেবতা হেরাক্লিসকে রোমানরা নতুনভাবে নামকরণ করে। দেবতা জিউস ও সুন্দরী আলকমেনের পুত্র হারকিউলিসের ছিল অতিমানবীয় শক্তি ও সামর্থ্য। আরো পড়ুন: স্ট্যান লি কীভাবে হলেন মার্ভেল কমিকসের স্রষ্টা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর পাঁচটি ভবিষ্যত 'সুপার ফুড' নানাধরনের অসম্ভব কৃতিত্বের মধ্যে হেরাক্লিস বা হারকিউলিস ১২টি অসম্ভব কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। তার মধ্যে অসংখ্য দানবকে হত্যা করা, আকাশকে ধরে রাখা, উদ্বোধনী অলিম্পিক গেমসের প্রতিটি একক ইভেন্টে জয় লাভসহ কুস্তিতে এমনকি মৃত্যুকেও পরাজিত করেছিলেন বলে কিংবদন্তী রয়েছে। ২. মারাত্মক দুর্বলতা (যেমন ক্রিপ্টোনাইট) গ্রীকদের মধ্যে সেরা যোদ্ধা ছিল একিলিস, তবে 'একিলিস'স হিল' নামে দুর্বলতার সঙ্গেও তার নাম জড়িয়ে গেছে গ্রিক রাজা পেলুস ও সমুদ্রের পরী থেটিসের পুত্র একিলিস তার সময়ের তারকা- কিন্তু সুপারহিরোদেরও কিছু দুর্বলতা থেকে যায়। সুপারম্যানের ক্রিপ্টোনাইট বা উলভারিনের মারুসামা ব্লেড-এর মতো। একিলিস ছিল ট্রোজান যুদ্ধে সবচেয়ে বীর যোদ্ধা, সব গ্রিক যোদ্ধাদের মধ্যে সেরা। কিন্তু সবাই জানতো যে তার দুর্বলতা ছিল তার গোড়ালিতে। ৩. স্ট্রিটমার্কস (ব্যাটম্যানের মতো) ওডিসিকে বহু বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল অনেকটা ব্যাটম্যান যেমন তার বুদ্ধি ও প্রতিভা দিয়ে অতিক্রম করে তার চ্যালেঞ্জ ওডিসিয়াস ছিলেন ইথাকার এক কিংবদন্তীতুল্য গ্রিক রাজা। যিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত ওডিসি নামে এবং তার ট্রোজান যুদ্ধের দীর্ঘ কাহিনী খুবই জনপ্রিয়। ওডিসিকে বহু বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল - অনেকটা ব্যাটম্যান যেমন তার বুদ্ধি ও প্রতিভা দিয়ে অতিক্রম করে তার চ্যালেঞ্জ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জেনারেল মোশাররফের ফোনে আড়ি পেতেছিল ভারত নারী যদি পুরুষকে মিলনে বাধ্য করে - তা কি ধর্ষণ? কতদূর গড়াতে পারে গ্রামীণ-রবি-বিটিআরসি দ্বন্দ্ব? একচোখা দৈত্য সাইক্লপসের হাত থেকে রক্ষা পেতে সে ব্যবহার করে তার উপস্থিত বুদ্ধি এবং সাহস। ৪. ম্যাজিক (উইচফায়ারের মতো) অনেক সুপারহিরোদেরই তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে ম্যাজিক বা যাদু। এখনকার দিনে অনেক সুপারহিরোদের অস্ত্রভাণ্ডারেই রয়েছে ম্যাজিক বা যাদু। ডিসি কমিক্সের উইচফায়ারের কথাই ধরা যাক- সে যেমন একজন সুন্দরী মডেল, প্রতিভাবান অভিনেতা ও গায়িকা, আবার শক্তিশালী যাদুকরও। রেভেন যেমন অন্যদের মনের ভাষা বুঝতে পারে এবং সেভাবে শত্রুদের আক্রমণ করে। ডক্টর স্ট্রেঞ্জ যেমন দুর্ঘটনায় তার হাত হারালেও চর্চা করেন রহস্যময় শিল্পের। কমিক বইয়ের এইসব চরিত্রের মতোই উজ্জ্বল গ্রীক দেবী সারসি। যাকে একটি রহস্যময় পৌরাণিক দ্বিপে নির্বাসনে পাঠানো হয় আর সেখানে সে শেখে রূপান্তরিত করা ও বিভ্রম সৃষ্টির যাদু। ৫. ওয়ারিয়র ওমেন (অনেকটা ওয়ান্ডার ওমেনের মতো) গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে অ্যামাজন নামে এক যোদ্ধা গোষ্ঠীর বর্ণনা পাওয়া যায়, যারা একদল নিষ্ঠুর ও আগ্রাসী নারী গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে অ্যামাজন নামে এক যোদ্ধা গোষ্ঠীর বর্ণনা পাওয়া যায়। যারা একদল নিষ্ঠুর ও আগ্রাসী নারী আর তাদের শারীরিক শক্তি, সাহস ও দক্ষতা যে কোনো পুরুষ যোদ্ধার সমকক্ষ। তাদেরকে পরিচিত মনে হয়? ডিসি কমিকসের ওয়ান্ডার ওমেনের সাথে মিল পাওয়া যায় তাদের। ৬. গোপন পরিচয় (সুপারম্যানের মতো) রোমান দেবতা কিউপিড সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত। সবাই তার চিবুক, পাখির মতো ডানা এবং তীর-ধনুকে ভক্ত। রোমান দেবতা কিউপিড সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত। সবাই তার চিবুক, পাখির মতো ডানা এবং তীর-ধনুকের ভক্ত। একাধিক সুপারহিরোর ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে মিল পাওয়া যায়, আর তা হলো তাদের আসল পরিচয় গোপন রাখার প্রবণতা। স্পাইডারম্যান বা ব্যাটম্যান থেকে শুরু করে ক্লার্ক কেন্ট পরিচয়ে লুকিয়ে থাকা সুপারম্যান পর্যন্ত। ঠিক কিউপিডও নিজের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা ও ডানা লুকিয়ে রাখতো। এমনকি দিনের বেলা তার স্ত্রী সাইকির কাছ থেকেও। ৭. মহা ক্ষমতাশালী হাতুড়ি (থরের মতো) নরওয়ের লোকগাঁথায় হাতুড়িধারী থর হচ্ছে প্রধান দেবতা। যার ক্ষমতার মধ্যে আরো আছে বজ্র, ঝড়, ওক গাছ এবং শক্তি। নরওয়ের লোকগাঁথায় হাতুড়িধারী থর হচ্ছে প্রধান দেবতা। যার ক্ষমতার মধ্যে আরো আছে বজ্র, ঝড়, ওক গাছ এবং শক্তি। তার দখলে থাকা জিনিসপত্রের মধ্যেআছে যাদুকরী মজোলিনিয়র, যা দিয়ে তিনি উড়তে পারেন এবং মানব কল্যাণে মেঘ চালাতে পারেন। মার্ভের কমিক চরিত্র থর অডিনসর তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। | সুপার পাওয়ার বা অতি মানবীয় শক্তি অর্জনের স্বপ্ন কি কেউ দেখেনি? আসলে এমন ইচ্ছা মানুষের একেবারে শুরু থেকেই রয়ে গেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সুদানের তরুণ প্রজন্ম নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিন্তু দেশটির বিস্তীর্ণ মরু এলাকায় রয়েছে হাজার বছরের পুরনো বহু পিরামিড। আকারে কিছুটা ছোট হয় সুদানের পিরামিড, যাদের সংখ্যা ২৫০টিরও বেশি। সম্প্রতি দেশটির তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটি অংশ এগিয়ে এসেছে নিজেদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে। এমনই একজন মোহামেদ আল মুর, বিদেশী পর্যটকদের গাইড হিসেবে কাজ করেন। "আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা দেখে যে এই পিরামিডগুলো আসলে কেউ দেখেইনি এখন পর্যন্ত। এটাও অবাক করার মত ব্যপার যে কেউ এগুলোর কোন দেখাশুনা করে না। এটা আমাদের পরিবারগুলোর নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস। আমার পরিবারের কাছ থেকে এই জায়গা সম্পর্কে আমি শুনেছি। শুনেছি এই জায়গাগুলো কিভাবে নারীরা পরিচালনা করতেন, শুনেছি এই জায়গাগুলো একেকটি কত বড় বড় সভ্যতা ছিল!" আরো পড়ুন: ‘প্রতি সপ্তাহে মেয়েদের হাটে তোলা হতো বিয়ের জন্য’ প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ: রাজনীতিতে কি প্রভাব? মোহামেদ দেশটির তরুণ প্রজন্মকে নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর জন্য মুক্ত আলোচনা এবং বিনা পয়সায় পিরামিড দেখাবার উদ্যোগ নিয়েছেন। দিনব্যাপী এসব ট্যুরে নিয়মিত তিনি নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এদের অনেকেই এখন একাধিক বার করে যাচ্ছেন সেইসব স্থাপনায়। "এটা আমার দ্বিতীয় সফর এখানে। আমরা সবাই রীতিমত বিস্মিত। আসার আগে আমরা ভেবেছিলাম, গিয়ে হয়তো দেখবো প্রাচীন দুইটা পিরামিড বা এরকম নগণ্য কিছু।" এই তরুণ পর্যটক দলের কেউ কেউ আছেন, যারা এখন উৎসাহিত হয়েছেন নিজেরা আরো জানতে এবং বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে। কেউ আছেন যারা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ছবি তোলা বা ভিডিও নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। "একজন সুদানীজ হিসেবে আপনাকে আপনার সংস্কৃতি ও ইতিহাস জানতে হবে। আর অন্যকে বলার আগে আপনাকে নিজের চোখে সেসব দেখতে হবে।" দেশটির পুরনো শহর গেমাটোনের কাছে মরুভূমিতে রয়েছে বেশিরভাগ পিরামিড। প্রায় দুই হাজার বছর আগে এগুলো গড়ে তোলা হয়। তখন সুদানে 'কুশ' সাম্রাজ্যের জমজমাট অবস্থা। মোহামেদ বলছিলেন কিছু পিরামিড আছে ডিনামাইটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮৩০ সালে ইতালিয় একজন রত্ন শিকারি মূল্যবান রত্নের সন্ধানে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন কয়েকটি পিরামিড। অনেক সমাধির জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। মোহামেদের আশা সামনের দিনে নিজেদের পিরামিডগুলো রক্ষার দায়িত্ব নেবে সুদানের তরুণ ছেলেমেয়েরা। | আফ্রিকার দেশ সুদানের কথা ভাবলে শুরুতেই যে চিত্র চোখে ভেসে উঠবে, তা হচ্ছে যুদ্ধাক্রান্ত এক রুক্ষ মরুভূমির দেশ। গণহত্যার অভিযোগ আর দারফুরের শরণার্থী সংকটের কথা কমবেশি সবাই জানে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | তাজমহলের সামনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। এমনকি বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জেরেড কুশনার। আর মিস্টার ট্রাম্প ভারতে এলেন এমন সময়ে যখন ভারতের অর্থনীতি কিছুটা চাপের মুখে ও বেকারত্ব বেড়েছে অনেক। আবার নাগরিকত্ব আর কাশ্মীর ইস্যুতে দেশে বিদেশে সমালোচিত হচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের ইন্ডিয়া প্রজেক্টের ডিরেক্টর তানভি মাদন বলছেন, "এ সফর হবে তাকে (মোদী) রাজনৈতিকভাবে চাঙ্গা করবে এবং তার জন্য ভালো সংবাদ তৈরি করবে"। "তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির পাশে দেখা যাবে"। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে মিস্টার ট্রাম্পের 'আমেরিকাই প্রথম' নীতি নিয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যা হতে পারে 'পাকিস্তান - ভারত পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে' পরমাণু অস্ত্রের নীতি কেন বদলাতে চায় ভারত? তাহলে এ সফর মিস্টার ট্রাম্পকে কী দেবে? আগ্রায় অনুষ্ঠানে ১. ভারতীয় আমেরিকান ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা? এ সফরটি অনেকের কাছেই একটি সুখকর সফর হিসেবে বিবেচিত কারণ এখানে এসে মিস্টার ট্রাম্পকে কঠিন কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হবেনা কিন্তু তার নিজের রাজনীতির জন্য কিছু পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ আছে। দ্বিতীয় বার নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে এটি আমেরিকার ভোটারদের কাছে তার ইমেজ বাড়াবে। "তার প্রচার দল বিষয়টি এমনভাবে দেখাবে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সারাবিশ্বে কেমন সমাদৃত," বলছিলেন মিজ মাদন। তাছাড়া ইন্ডিয়ান আমেরিকান ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষিত হতে পারে বিশেষভাবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক আছেন এবং দেশটির রাজনীতিতে ভারতীয়রা একটি ক্রম বর্ধিষ্ণু শক্তি হিসেবে বেড়ে উঠছে। সাধারণত তারা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে থাকে। ন্যাশনাল এশিয়ান আমেরিকান সার্ভে অনুযায়ী ২০১৬ সালের নির্বাচনে মিস্টার ট্রাম্প ভারতীয় মাত্র ১৬ শতাংশের ভোট পেয়েছেন। "সরকারের ছোটো আকার কিংবা কর কর্তনে ইন্ডিয়ান আমেরিকানরা বিশ্বাস করেনা। তারা সামাজিক খাতে ব্যয় বাড়ানোকে পছন্দ করে," বলছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কার্তিক রামাকৃষ্ণানন। মিস্টার ২০২০ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটারদের নিজের দিকে নিতে চান। গত সেপ্টেম্বরে হিউস্টন, টেক্সাসে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বড় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মিস্টার ট্রাম্প যেখানে মোদী ঘোষণা করেছিলেন, "ট্রাম্পের চেয়ে ভালো প্রেসিডেন্ট আর কাউকে আপনারা পাননি"। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উষ্ণ অভিবাদন জানানো হয়েছে ২. বাণিজ্য চুক্তি এ সফরের মূল কেন্দ্রে আছে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি। গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু পক্ষের মধ্যে। দু দেশের মধ্যে এখন বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬০ বিলিয়ন ডলার। তারপরেও উদ্বেগ আছে আমেরিকানদের দিক থেকে বিশেষ করে ভারতের শুল্ক বাড়ানো, দাম নিয়ন্ত্রণ কিংবা ই-কমার্স নিয়ে। দক্ষ কর্মীদের অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ তো আছেই। ভারত জিএসপি সুবিধার আওতায় প্রাপ্ত শুল্ক সুবিধা পেতে চায় যা মিস্টার ট্রাম্প ২০১৯ এ বাতিল করেছিলেন। "এমনকি একটি স্বল্পমাত্রার চুক্তিও একটি ইঙ্গিত দেয় যে বাড়ন্ত বাণিজ্য নিয়ে দু দেশই বেশ সিরিয়াস," বলছিলেন নিশা বিশওয়াল, ইউএস ইন্ডিয়া বিজনেস এর প্রেসিডেন্ট। ৩. চীন ফ্যাক্টর ট্রাম্পের রাজনৈতিক ব্র্যান্ড হলো চীনের প্রতি কঠোর হওয়া, বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে বেশ উদ্বেগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিজ মাদন বলছেন, "আমি মনে করিনা যে এই সফরে তারা চীন নিয়ে কোনো আলোচনা করবেননা। বিশেষ করে এ অঞ্চলের চীনের কার্যক্রম নিয়ে দু পক্ষেরই উদ্বেগ আছে"। চীন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধের প্রভাব পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতেও কিন্তু চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশি ঘনিষ্ঠতা হলে সেটি ভারতকে হিসেবের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। প্রশ্ন আছে যে চীনের যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত তৈরি হতে পারে কিনা। সেক্ষেত্রে মিস্টার ট্রাম্প মোদীর ভারতকে ভালো বন্ধু হিসেবে পেতেই পারেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ৪. প্রতিরক্ষা গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে প্রতিরক্ষা খাতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে যাচ্ছে মিস্টার ট্রাম্পের সফরের সময়। এ সফরের আগেই স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে সমন্বিত এয়ার ডিফেন্স উইপন সিস্টেম বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেছে। প্রতিরক্ষা খাতে ক্রেতা তালিকায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে ভারত। রাশিয়া ও ফ্রান্স থেকেও বড় ধরণের কেনাকাটা করেছে তারা। মিস্টার ট্রাম্প যদি কিছু বিক্রি করতে পারেন তাহলে ভোটারদের বোঝাতে পারবেন যে এতে করে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। ৫. 'ট্রাম্প মোদী রসায়ন' আট মাসের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে এটা হবে পঞ্চম সাক্ষাত। তারা একে অপরকে 'বন্ধু' সম্বোধন করে থাকেন। একে অন্যকে হাগ করার অনেক ছবি আছে। "ভারতে আমরা ভালোভাবে সমাদৃত নই কিন্তু মিস্টার মোদীকে আমি অনেক পছন্দ করি,"একথা সফরের আগে মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন সংবাদকর্মীদের। জন হপ্কিন্স স্কুলের জসুয়া হোয়াইট বলছেন এ সফরেই সব পরিষ্কার হবেনা তবে আমলারা নিশ্চয়ই দেখবেন হিসেব করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কতটা অর্জিত হলো। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পাপিয়াকে ঘিরে বিতর্কে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি দিল্লিতে তীব্র বিক্ষোভে পুলিশ কর্মকর্তা সহ নিহত ৩ করোনাভাইরাস: বিশ্ব-মহামারী কি এখন খুবই সন্নিকটে? মাহাথিরের হঠাৎ পদত্যাগ, বাদ পড়বেন আনোয়ার? আত্মহত্যাই করেছিলেন সালমান শাহ, বলছে পিবিআই | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশী করতে যথাসাধ্য সবকিছুই করেছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শ্রীলংকার বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজেও খেলতে পারবেন না সাকিব আঙুলের চোটের কারণে মাঠে নেই সাকিব, এবং এই চোট সারতে আরো সময় লাগবে। তাই তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।- বলছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য শনিবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছিল তাকেই। কিন্তু সাকিব জানালেন, এখনই ফেরা হচ্ছে না মাঠে। তিনি বলেন, "টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সম্ভাবনা বোধহয় আমরা নেই। ডাক্তার বলেছেন যে কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তার মানে এই সিরিজ খেলা হচ্ছে না।" তবে সাকিব আশাবাদী দুই সপ্তাহের ভেতরে সুস্থ হয়ে, আবার রিহ্যাব করে পুরো অনুশীলন করে শ্রীলঙ্কাতে আমাদের যে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে হবে, সেটাতে খেলতে পারবেন তিনি। গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট নিয়ে ছিটকে যান সাকিব। খেলতে পারেননি টেস্ট সিরিজে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ ও টেস্ট সিরিজে হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, "পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে থাকতে না পারলে তো খারাপ লাগে। চিন্তা করেছি যে, এটাই হয়ত নিয়তিতে ছিল। এটা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে হয়। তবে একজন খেলোয়াড় যদি খেলতে না পারে, সেই অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়।" সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে ফেরার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। এবারে টি টোয়েন্টি সিরিজেও ফিরতে পারছেন না। তবে দল নিয়ে আশাবাদী তিনি। সাকিব বলেন, "আমি খুবই আশাবাদী যে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ঘুরে দাঁড়াব। এখানে একটা ওভারই খেলা বদলে দিতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে কেউ ফেভারিট হয়ে নামে না। আয়ারল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়া বা ভারত যদি খেলে, তাও ফেভারিট না। টি-টোয়েন্টির মজাটাই এখানে। আমি বলব এখানে কেউ ফেভারিট না, যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে।" দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুরে। পরেরটি রোববার সিলেটে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জেল কোড অনুসারে ডিভিশন পান কারা? সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ | বাংলাদেশের টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই জানিয়েছেন, শ্রীলংকার বিপক্ষে হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ফিট নন তিনি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সব বাজারেই চাষের মাছের আধিক্য দেখা যায় খাদ্য প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির পরামর্শেই বিভিন্ন রাসায়নিক এমনকি এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও মাত্রা নির্ধারণ করেন তারা। এছাড়া অনেক খামারেই এখনো মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনা। কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত মাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকরা। কিন্তু চাষের মাছ নিয়ে উদ্বেগ কতটা ব্যাপক? আর এক্ষেত্রে সরকারি নজরদারিই বা কতটা? ঢাকার মিরপুরে একটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় রুই, কাতল, মৃগেল, কৈ, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন ধরণের, নানান সাইজের মাছ নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের ভাষায় যার কোনটি নদীর মাছ আবার কোনটি চাষের। এই বাজারে নিয়মিতই মাছ কেনেন রুনা বেগম। তিনি জানালেন, নদীর মাছ ছাড়া অন্য কোন মাছ তিনি কেনেন না। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ''নদীর মাছে যে স্বাদ, চাষের মাছে সেটা পাই না। চাষের মাছে সবসময়ই কেমন যেন একটা গন্ধ থাকে। অনেকটা ঘাসের মতো।'' তবে চাষের মাছ কেনেন এরকম ক্রেতারও অভাব নেই। এর বড় একটা কারণ চাষের মাছের দাম কম। একজন নারী ক্রেতা বলছিলেন, ''অনেক সময় নদীর রুই বা কাতল মাছের যে দাম চায়, তার অর্ধেক দামে চাষের রুই বা কাতল মাছ কিনতে পারি। কিন্তু চাষের মাছ কিনলেও মনে সবসময়ই একটা সন্দেহ থাকে যে এই মাছ কিভাবে, কোথায় চাষ হচ্ছে, মাছকে কি খাওয়াচ্ছে, এসব মাছ খেলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে কি-না তা নিয়ে একটা ভয় থাকে।'' এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশে মাছ চাষ নিয়ে একটা সন্দেহ-সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই। এর যৌক্তিকতা বুঝতে মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত শহর ময়মনসিংহের ত্রিশালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই এই এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে যান বিক্রির জন্য। ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি মুরগির খামার। এই খামারের বর্জ্য ব্যবহার করা হয় পাশেই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে। ত্রিশালের পোড়াবাড়ি এলাকায় দেখা যায় মাছের খামারের সঙ্গে সঙ্গে মুরগির খামারও গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় মুরগির খামারের বিষ্ঠা ও অন্যান্য আবর্জনা ধুয়ে নালায় ফেলছেন কয়েকজন কর্মচারী। সেসব আবর্জনা পরে নালা হয়ে চলে যায় মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে। খামারের একজন কর্মচারীর জানালেন, গত সাত বছর ধরেই এই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করেন তারা। এতে মাছের খাবারের পেছনে ব্যয় অনেকটাই কমে যায় তাদের। তবে এভাবে বিষ্ঠা ব্যবহার করে যে মাছ চাষ নিষিদ্ধ সেটা জানেন না এই খামারের কেউই। ত্রিশালেই আরো অন্তত: তিনটি মাছের খামারচোখে পড়ে যেখানে খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার হয়। এ বিষয়ে কথা হয় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেনের সঙ্গে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন তিনি জানালেন, ''মুরগি পালনে নানা রকম এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়। যেগুলো মুরগির বিষ্ঠার মাধ্যমে মাছের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো ধ্বংস হয় না । তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কয়েকবছর আগেই মাছের খাবার হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।'' কিন্তু এরপরও কেন এই পদ্ধতির ব্যবহার হচ্ছে জানতে চাইলে মি. গোলজার বলেন, ''অনেকে এখনো গোপনে এটা করছে। আমরা জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।'' এরপরে আরো কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা যায় মাছের খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা ''ফিশ ফিড'' ব্যবহার হচ্ছে। যেগুলো মূলত: ভুট্টা, খৈল, হাড়ের গুড়া, ধানের কুড়া, শুটকিসহ বিভিন্ন উপাদানের মিশেলে তৈরি করা হয়। তবে এসব খামারে আরো দেখা যায়, মাছের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিংবা রোগ-বালাই সারাতে খামারিরা বিভিন্ন ওষুধও ব্যবহার করেন। যেগুলোর মধ্যে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো এন্টিবায়োটিকও আছে। খামারিরা যে সবসময় এসব ওষুধ ব্যবহার করেন এমন নয়। তবে যখন ব্যবহার করেন, তখন অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছেমতো কিংবা ফিশ ফিড কোম্পানির প্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন তারা। মোস্তাফিজ রাজু নামে এই খামারের মালিক বলছেন, তার এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা পরামর্শ দিতে আসেন না। মোস্তাফিজ রাজু নামে একজন খামার মালিক বলেন, ''আমরা তো পটাশ, কিংবা চুন ব্যবহার করি পানি ঠিক রাখার জন্য। আর ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক দরকার হলে ব্যবহার করি। কোম্পানির লোকেরা আসে, তারা বলে কিভাবে কতটুকু ব্যবহার করতে হবে। অনেকসময় অন্য অভিজ্ঞ খামারিদের পরামর্শ নেই।'' মুস্তাফিজ জানান, তার এলাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা আসেন না তিনিও অধিদপ্তরে কোন পরামর্শের জন্য যান না। তবে এভাবে ওষুধ ব্যবহারে ঝুঁকি আছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলছিলেন, ''বাংলাদেশে মাছের যেসব ওষুধ আসে সেগুলো মূলত: বিদেশ থেকে আসে। এগুলো কোন মাত্রায় ব্যবহার হবে তার নির্ধারিত কোন স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু সেভাবে ঠিক করা নেই। চাষিরা অনেকসময় মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কিংবা চিকিৎসার জন্য হরমোন ব্যবহার করেন, এন্টিবায়োটিকও দেন।'' ''উদ্দেশ্য যেটাই হোক ওষুধের মাত্রাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হেরফের হলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এজন্য এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নজরদারি থাকা উচিত।'' তবে মৎস্যবিজ্ঞান অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, তারা সব এলাকাতেই নিয়মিত মনিটরিং করে থাকেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন জানান, ''মাছের খাবার যারা বানায় আমরা সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করি। ক্ষতিকর কিছু কিংবা প্রয়োজনীয় উপাদান না পেলে ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মাছের খামারিদের নিয়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। খাবার এবং ওষুধ কিভাবে, কোন পরিমাণে দিতে হবে তা বলে দেয়া হয়।'' তবে সব এলাকাতেই যে সবসময় নজরদারি সম্ভব হয় না সেটাও স্বীকার করেন তিনি। এজন্য অবশ্য জনবলের অভাবকেই দায়ী করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আরো পড়তে পারেন: গাপ্পি মাছ দিয়ে কি চিকুনগুনিয়া ঠেকানো যাবে? ব্রাজিলে জেলেদের মাছ ধরতে সাহায্য করে যে ডলফিন পটকা মাছ থেকে বাঁচাতে জাপানে শহর জুড়ে অ্যালার্ট ইলিশ কি মিঠা পানির মাছ হয়ে যাচ্ছে? জেব্রা ফিস কেন ইঁদুরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে গানায় তেলাপিয়া মাছ নিয়ে উদ্বেগ কেন? | বাংলাদেশে যারা মাছ চাষ করেন, তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন মাছ চাষ ও ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন পরামর্শ তারা পান না। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন একশোরও বেশী উদ্ধারকারী। কিন্তু পুলিশ বলছে, গত ৫ দিন ধরে এখনও ওই শ্রমিকদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। তারা বেঁচে আছেন কি-না, তাও বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার কসন গ্রামে জঙ্গলের ভেতরে অবস্থিত একটি বেআইনি কয়লা খাদানে (এই খাদানগুলোকে 'র্যাট হোল মাইনিং' বলা হয়) নেমেছিলেন ওই শ্রমিকরা। পাশ দিয়েই বইছে লিটিয়েন নদী। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথম দিন নেমেই ওই শ্রমিকরা সেখানে আটকে পড়ে। তার কয়েকদিন আগে কৃপ চুলেট নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি খাদানটি ভাড়া নিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট সিলভেস্টার নঙ্থনার বিবিসিকে বলছেন, "বেআইনিভাবে চলা এই খাদানটির ২৫০ ফুট নীচ থেকে জলে ভর্তি হয়ে গেছে। জলস্তর রয়েছে আরও প্রায় ৭০ মিটার।" "১৩ তারিখ রাতে এই ঘটনার পরদিন সকাল থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ, দমকল সহ একশোরও বেশি উদ্ধারকারী কাজ করে চলেছেন। কিন্তু আমরা এখনও আটকিয়ে পড়া শ্রমিকদের কোনও চিহ্ন খুঁজে পাই নি।" এখনও ওই শ্রমিকদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। প্রায় ৩২০ ফুট জলের তলায় কোথায় শ্রমিকরা আটকিয়ে রয়েছেন - সেটা জানার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এন ডি আর এফের ডুবুরীরা নেমেছিলেন খাদানে। জলের তলায় তল্লাশি চালানোর জন্য 'সোনার' যন্ত্রও ছিল। আরো পড়ুন: থাই গুহায় আটকাপড়া ১৩ জনের সবাই বেরিয়ে এসেছে থাই গুহায় যেভাবে বেঁচে ছিল শিশুরা "যন্ত্র দিয়েও আমরা খুঁজে বের করতে পারি নি শ্রমিকদের অবস্থান। চেষ্টা করা হচ্ছে খনি গহ্বর থেকে জল পাম্প করে তুলে ফেলার। অনেকগুলো পাম্প চালানো হচ্ছে," বলছিলেন উদ্ধারকাজের মূল দায়িত্বে থাকা এন ডি আর এফের কম্যান্ডান্ট সতীশ শাস্ত্রী। "কিন্তু আবার নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে আবারও খনিতে জল ঢুকছে। স্থানীয় মানুষরা বলছেন, এইধরনের খনিগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাই অন্য খাদানগুলো থেকে এই খাদানে সম্ভবত জল ঢুকে যাচ্ছে," তিনি জানান। সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থা কোল ইন্ডিয়া-র বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যে, একশো হর্স পাওয়ারের পাম্প যদি বসানো যায়, যা দিয়ে মিনিটে চারশো গ্যালন করে জল তোলা যাবে, তাহলে খনি গহ্বর থেকে দ্রুত জল বার করে ফেলা সম্ভব হবে। একটি বেআইনি কয়লা খনিতে নেমেছিলেন ওই শ্রমিকরা। উল্লেখ্য থাইল্যান্ডে একটি কিশোর ফুটবল দল এই বছর এক গুহায় আটকে পড়েছিলো। পানি জমে তাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তারা একটি উঁচু যায়গায় নয়দিন বসে থাকার পর ডুবুরীরা তাদের খোঁজ পায়। জয়ন্তিয়া জেলা প্রশাসন পাম্প আনার আর্জি জানিয়েছে শিলংয়ে মেঘালয় সরকারের কাছে। উদ্ধারকারী দলের প্রধান মি. শাস্ত্রী বলছেন, "যেহেতু এটা বেআইনি খাদান, তাই এর না আছে কোনও মানচিত্র, না নেওয়া হয়েছিল কোনরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা।" "আমাদের শুধুমাত্র স্থানীয় 'সর্দার', অর্থাৎ যারা কয়লাখনি শ্রমিকদের সুপারভাইজার, তাদের কথার ওপরে ভরসা করেই উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে," তিনি বলছেন, "ডুবুরীরা জলস্তরের ৩০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিলেন, কিন্তু শ্রমিকরা তার আরও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট নীচে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।" "কয়লা মেশানো জল এতটাই কালো, তাই প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। যন্ত্র নামিয়েও বিশেষ কিছু লাভ হয় নি।" এই শ্রমিকদের বেঁচে থাকার কোনও আশা এখন আর আছে কিনা - এ প্রশ্নের উত্তরে মি. শাস্ত্রী বললেন, "যতক্ষণ না আমরা কোনও দেহ উদ্ধার করতে পারছি, ততক্ষণ এটাই ধরে নেওয়া হয় যে তারা জীবিত আছেন। এটাই উদ্ধারের নিয়ম।" অপেক্ষায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্বিগ্ন স্বজনেরা। মেঘালয়ে অসংখ্য ছোট-বড় কয়লা খাদান বেআইনি ভাবে চালানো হত, যেগুলিকে জাতীয় পরিবেশ আদালত ২০১৪ সালেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। এই কয়লা খাদানগুলিকে 'র্যাট হোল মাইনিং' বলা হয়। তবুও যে বেআইনি খাদান চলছে, এই দুর্ঘটনা তারই প্রমাণ। পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট সিলভেস্টার নঙ্থনার অবশ্য বলছেন, প্রত্যেকটা অংশে পৌঁছন তো সম্ভব হয় না, তবে বেআইনি খাদান চলার খবর পেলেই পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। যেমন এই ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার হয়েছে বেআইনি খাদানটির মালিক। অন্যান্য খবর: তরুণদের নিয়ে কি আছে নির্বাচনী ইশতেহারে? আইপিএল নিলাম: বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের সম্ভাবনা কেমন? সৌভাগ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে চারটি বিষয় | ভারতের মেঘালয়ে পানির নিচে আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন একশোরও বেশি উদ্ধারকারী। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সাহায্য নিতে জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গা শিশুরা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে এতো সংখ্যক শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক যেসব সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে সেটি আসলে কতদিন পাওয়া যাবে? তাদেরকে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজে দেরি হলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে? বাংলাদেশের অর্থনীতি কি পারবে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে? গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নেমেছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তে। জাতিসংঘ বলছে, গত এক দশকে এটিই শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় স্রোত। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে এ দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সাত লাখেরও বেশি শরণার্থী। আগে থেকেই ছিলো আরো চার লাখ। সবমিলিয়ে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন প্রায় এগারো লাখ। বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এসব শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা মিললেও বাংলাদেশকেও ব্যয় করতে হচ্ছে প্রচুর অর্থ। তিনি বলেন, "প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মতো সহায়তা এসেছে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে। তা দিয়েই আসলে প্রথম ছয় মাস পার করা গেছে। এর বাইরে জিআরপি বা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে বাংলাদেশকে ৯৫১ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। সেখান থেকে ২০ভাগ সহায়তা পাওয়া গেছে। আরও কিছু অর্থ পাইপলাইনে আছে।" বর্তমানে ১১ রাখের মতো রোহিঙ্গা আছে বাংলাদেশে। আরো পড়তে পারেন: সেনেগালের যে গোলটি নিয়ে বিতর্ক বিশ্বকাপ ২০১৮: রাশিয়ার জন্মহার বাড়াবে ফুটবল? রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত নজর কেড়েছেন কারা খেলা শেষে জাপান সমর্থকরাই পরিষ্কার করলো স্টেডিয়াম সৌদিতে যেভাবে গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েরা বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, এই হিসেবের বাইরেও রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে সরকার। কক্সবাজার ও টেকনাফের শরণার্থী শিবির থেকে তাদেরকে যে ধীরে ধীরে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে দু'হাজার কোটি টাকা। মি. কালাম অবশ্য বলছেন, শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোই মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের এবং সেজন্য জোর তৎপরতাও চালানো হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে এখন সহায়তা মিললেও প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে কী হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন গবেষক ও অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, "সাহায্য সহযোগিতার কিছুটা হয়তো অব্যাহত থাকবে আগামী কয়েক বছর। বিশেষ করে উন্নয়ন সহযোগীদের মাধ্যমে যেসব সাহায্য আসে সেগুলো আসবে। কিন্তু বেশি আসে সাময়িক সহায়তা। এটা কিন্তু অব্যাহত থাকে না।" "বিশ্বের অন্যান্য যেসব শরণার্থীরা অবস্থান করছে সেসব দেশেও এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা গেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাদের জন্য খাদ্য থেকে শুরু করে সবই লাগবে," বলেন তিনি। নাজনীন আহমেদ বলছেন খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকেও বড় ধরনর বিনিয়োগ করতে হচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। ত্রাণ বিতরণ করছেন তুর্কী প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড: মুহাম্মদ দানেশ মিয়া বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট আরও বড় ধরনের বিপর্যয় নিয়ে এসেছে কক্সবাজার অঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্রের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের এই মানবিক ভূমিকার মূল্য দিতে হচ্ছে বন ও পরিবেশ ধ্বংস করে। কৃষি ধ্বংস হচ্ছে। স্থানীয়দের আয় রোজগারে বড় সমস্যা তৈরি করছে। পরিবেশ ও অর্থনীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে ভয়ানক পরিস্থিতি।" এরকম পরিস্থিতিতে প্রায়শই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নানা প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসছেন। চলতি মাসের শেষে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শফিকুল আজম বলেছেন, তাদের কাছে নতুন করে সহযোগিতা চাওয়ার কিছু নেই। "বিশ্বব্যাংক সাহায্য দিতে চেয়েছে। তারা অনুদান দিতে রাজী হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মতো। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য খাতে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণসহ অন্য ক্ষেত্রে আরও প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে। এগিয়ে আসছে এডিবিও। এবার বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট আসবেন জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে। এখানে নতুন করে সহায়তা চাইবার কিছু নেই।" কিন্তু অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলছেন, বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে আরও এগিয়ে আসা উচিত। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে যে কোন বাণিজ্য চুক্তির সময় রোহিঙ্গা ইস্যুকে কাজে লাগালে ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ। | বিশ্বের যেসব দেশে বিপুল সংখ্যায় শরণার্থী অবস্থান করছে বাংলাদেশ তার একটি। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | আদালত প্রাঙ্গণেই ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। সোমবার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, বেলা আনুমানিক একটার দিকে নিজের শরীরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। মারা যাওয়ার পর তার দেহ স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তার দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী-সন্তান তার সাথে যেতে রাজি হয়নি বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এ ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারেন। স্থানীয় সাংবাদিক এবং আইনজীবী শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, নিহত ওই যুবক পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাদের দশ মাসের একটি সন্তানও রয়েছে। আরো পড়ুন: তবে দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রায় ছয় মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পিতার বাড়িতে চলে যায় তার স্ত্রী। পরে ঐ যুবক তার স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানির দিন ছিল আজ। শুনানিতে যুবকের হয়ে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শাহ আলম সারোয়ার। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, আদালতে তার হয়ে শুনানি করেছেন তিনি। "তার স্ত্রী-সন্তানও আদালতে উপস্থিত ছিল। সে আমাদের মাধ্যমে তার স্ত্রী সন্তানকে পাওয়ার চেষ্টা করছিল।" তিনি বলেন, "আদালতে বলেছি যে, সে তার স্ত্রী-সন্তানকে চায়, তাদের ঠিক মতো ভরন-পোষণ করবে, সে তাদেরকে ফেরত চায়।" আদালত তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছে যে, তার স্ত্রী পিতামাতা নাকি স্বামীর সাথে যেতে চায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তার স্ত্রী জানায় যে, সে পিতামাতার সাথে যেতে চায়। আইনজীবী শাহ আলম সারোয়ার বলেন, স্ত্রীর জবাব শুনে আদালত তার রায়ে পিতামাতার সাথে তাদের থাকার আদেশ দেন। যার কারণে স্ত্রী-সন্তানকে ফেরত পাননি ঐ যুবক। "তোমার স্ত্রী তার পিতা-মাতার সাথেই যাবে, তোমার স্ত্রী আর তোমাকে চায় না," আদালত তার রায়ে বলে। শাহ আলম সারোয়ার বলেন, রায় হওয়ার পর তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যান এবং পরে তিনি শুনতে পান যে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, রায়ের পর ঐ যুবক তার সাথে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে শুরু করে। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। | স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে মামলা দায়েরের পর তাতে হেরে যাবার পর আদালত প্রাঙ্গণেই ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হবিগঞ্জের এক যুবক। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বের ব্যাপারে কিছু ক্ষেত্রে অবিশ্বাস, সন্দেহ এবং অনেক প্রশ্নও বিএনপিতে রয়েছে। গত নির্বাচনের আগে এই জোট গঠনের সাথে জড়িত কামাল হোসেনের গণফোরামসহ অন্যদলের নেতারা বলেছেন, ব্যর্থতার অভিযোগ থাকলেও তাদের জোট অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। বিএনপি নেতারা অবশ্য বলেছেন, অনেক প্রশ্ন থাকলেও তারা ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেবেন না। তারা উল্লেখ করেছেন, সরকারবিরোধী শক্তিগুলোকে এক মঞ্চে নেয়ার জন্যে বিএনপি এখনও ঐক্যফ্রন্টকেই টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী। কেন বিএনপিতে এত প্রশ্ন? এক বছর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের নির্বাচনী জোট গঠনের সময়ই বিএনপির তৃণমুলে এই জোট নিয়ে অবিশ্বাস, সন্দেহ ছিল। নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপিতে সেই অবিশ্বাস ও সন্দেহ বেড়ে যায় এবং দলটির নেতাকর্মিদের মাঝে তৈরি হয় হতাশা। এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেক প্রশ্ন তাড়া করছে ঐক্যফ্রন্টকে। রাজশাহী এবং চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলার বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট গত নির্বাচনে চরমভাবে হেরে গিয়ে এই সংসদকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু এরপরও ঐক্যফ্রন্টের মাত্র যে সাতজন বিজয়ী হয়েছিলেন, তাদেরও সংসদে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি। বিএনপির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা মনে করেন যে, এক্যফ্রন্ট গত এক বছরে রাজনীতিতে কোন অবস্থান নিয়ে দাঁড়াতেও ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমুলের পাশাপাশি দলটির মধ্যম সারির নেতারাও এখনও ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে একই ধারণা পোষণ করেন। বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেত্রী এবং সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী বলছিলেন, এখনও ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে এগুনোর বিষয়ে তাদের প্রশ্ন রয়েছে। "প্রত্যেকটা সচেতন মানুষ দেখেছে যে, এই ঐক্যফ্রন্ট দিয়ে আমাদের কতটা লাভ হয়েছে বা হয় নাই। এখন তারপরও তারা কারও সাথে কথা না বলে কাউকে জিজ্ঞেস না করে এই জোট নিয়ে কাজ করছে।" "একটা মানুষ যখন ভুল করে তখন তার সংসার এবং সে সাফার করে। একজন রাজনীতিবিদ ভুল করলে তার দল এবং দেশ সাফার করে। এই ভুল করার কথা বলার স্পর্ধা যেমন আমার নাই, তেমনি আমি এটাও বলতে চাই যে আমরা ধাক্কা খাচ্ছি। কিন্তু কোনো সমাধানে আসতে পারছি না।" বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিকল্প নেতা কামাল হোসেন বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন,তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে থাকায় তার বিকল্প হিসেবে কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে বিএনপি এই জোট করেছিল। কিন্তু মি. হোসেন নির্বাচন না করায় সেটি বিএনপির জন্য ছিল প্রথম হোঁচট বা ধাক্কা। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণাতেও বিএনপি তাদের নেত্রীর বিকল্প হিসেবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কামাল হোসেনকে মাঠে পায়নি। সেজন্য এই জোট তাদের নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষকে আশ্বস্ত করতে পারেনি বা একটা বিশ্বাস তৈরি করতে পারেনি বলে বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করেন। এসব বিষয়ে বিএনপি নেতৃত্বকে তাদের দলে বার বার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই জোট গঠনের সাথে জড়িত বিএনপির দু'জন সিনিয়র নেতা ড: খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ ভোটে পরাজয়ের পর ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকগুলোতে অংশ নেয়া বন্ধ করে দেন। ঐক্যফ্রন্টের কারণে জামায়াতে ইসলামী সহ বিএনপির পুরোনো ২০ দলীয় জোট নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। বিএনপি কেন ঐক্যফ্রন্ট টিকিয়ে রাখতে চাইছে বিএনপি এখনও সরকারকে একঘরে করার চেষ্টা নিয়ে এগুতে চাইছে। সেজন্য তারা ঐক্যফ্রন্ট টিকিয়ে রাখছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "নির্বাচনের সময় যে প্রত্যাশা নিয়ে জোট করা হয়েছে, জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কিন্তু এখনও ঐক্যফ্রন্টের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। কারণ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি এখনও পূর্ণতা পায়নি।" ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট সোচ্চার হয়নি বলে বিএনপির অভিযোগ নির্বাচনে পর গত এক বছরে বিএনপি তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন চেয়েছিল ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে। কিন্তু গণফোরামসহ অন্যদলগুলো এই ইস্যুতে সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ। এনিয়ে দলটির সব পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে । তবে শেষপর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই ঐক্যফ্রন্ট টিকিয়ে রাখার কথা বলছে। এই জোট গঠনের অন্যতম একজন নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না বলছিলেন, তাদের জোট অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে এমন সংকট এখনো হয়নি। "এমন সংকটে আমরা পড়িনি যে, এটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তবে এটা হতেই পারে যে, মানুষের মধ্যে যে উচ্চাশা বা প্রত্যাশা ছিল বা সমর্থন ছিল, সেই তুলনায় আমরা কিছুই করতে পারিনি। সেজন্য একটা হতাশা আছে এবং অনেকে সমালোচনাও করেন। কিন্তু ঐক্যের বিরোধীতা করে তারা সেটা করছেন না।" ঐক্যফ্রন্টে অন্য শরিক দলগুলোর নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের "কঠোর শাসনের" মুখে ঐকফ্রন্ট টিকিয়ে রাখা ছাড়া বিএনপির কাছে বিকল্প কিছু নেই। | বাংলাদেশে বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক বছর পূর্তিতে এসে এর প্রধান শরিক বিএনপি নেতারা মনে করছেন, তাদের এই জোট সর্বশেষ নির্বাচনে এবং পরের এক বছরে দেশটির রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বাংলাদেশ সহ ২৫টি দেশের নাগরিকদের নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি আরব ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সৌদি গেজেট, এক্সপ্রেস রিয়াদ, ও আরব নিউজ সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে যে সাতটি শর্তে সৌদি এয়ারলাইন্স বিদেশ থেকে সৌদি আরবে কয়েকটি দেশের যাত্রীদের ভ্রমণ করার অনুমতি দেবে। সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে সৌদি এয়ারলাইন্স। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে না জানলেও অনানুষ্ঠানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোস্তফা জামিল খান। কবে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য ঐ ২৫টি দেশের নাগরিকদের অনুমতি দেয়া হবে, সে বিষয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। আরো পড়তে পারেন: যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে গণহারে শ্রমিক ফিরে আসার নেপথ্যে কি সৌদি 'ফ্রি ভিসা' সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে কেন মারা যাচ্ছেন এত বাংলাদেশি সৌদি আরবে প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যেসব শর্তে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত মানার সাপেক্ষে ২৫টি দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবে যেতে চাওয়া সব যাত্রীকে বিমান যাত্রার আগে সাতদিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন করতে হবে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য এই কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ হবে তিন দিন। কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। এছাড়া বিমানে ভ্রমণের আগে সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নির্দিষ্ট একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে যাত্রীদের। সৌদি আরবে বিমানবন্দরে নেমে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে জমা দিতে হবে ফর্মটি। প্রত্যেক যাত্রীকে Tatman এবং Tawakkalna নামক দু'টি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে নামার আট ঘণ্টার মধ্যে Tatman অ্যাপটিতে নিজের বাসস্থানের ঠিকানা নিবন্ধনেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া বা ৯৩৭ নম্বরে ফোন করা এবং নিয়মিত ভিত্তিতে Tatman অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার শর্তও দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়। বিমান ভ্রমণের আগে সেল্ফ কোয়ারেন্টিন করার সময় ফর্মে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসে সব ধরণের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব। পরে কয়েক দফায় এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। | সৌদি আরব তাদের দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ সহ ২৫টি দেশের নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার কথা জানিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, সিআইএ তাদের হাতে থাকা তথ্য-উপাত্তগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই এ ধারণায় উপনীত হয়েছে বলে একটি সূত্র তাদের জানিয়েছেন। অবশ্য এসব প্রমাণ যে শতভাগ নিশ্চিত তা কেউ বলছেন না। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টের পর মার্কিন কর্মকর্তারা এখন বলছেন এ ব্যাপারে বহু প্রশ্নেরই উত্তর এখনো অজানা। সৌদি আরব নিজেরাও এ ঘটনার একটি তদন্ত করছে। বিবিসির বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, তদন্তের ফল যাই হোক - যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সুনামের ওপর ইতিমধ্যেই এর গুরুতর প্রতিক্রিয়া পড়েছে। এর ফলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান - যাকে অনেকে বর্ণনা করেন এমবিএস বলে - তার কি পরিণতি হতে পারে? তার আগে দেখা দরকার যে জামাল খাসোগজি খুনের ঘটনা কি ভাবে সৌদি আরবের ভেতরে যুবরাজের অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তরুণদের আশার প্রতীক? যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বয়স মাত্র ৩৩। তাকে দেখা হয় লক্ষ লক্ষ তরুণ সৌদির ভবিষ্যতের আশার প্রতীক হিসেবে। মনে করা হয় তিনি প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান, এবং সার্বিক প্রগতির মাধ্যমে সৌদি আরবকে একবিংশ শতাব্দীতে পৌঁছে দেবেন। খাসোগজি খুনের ঘটনার পর যুবরাজ মোহাম্মদেন সেই অবস্থান কি আর থাকবে? বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'সৌদি যুবরাজই খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দেন ': সিআইএ সৌদি আরব: রাজপরিবারের ভেতর কী ঘটছে? জামাল খাসোগজি এই সেদিনও পশ্চিমা দেশগুলোর নেতা থেকে শুরু করে হলিউড পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বন্দিত হচ্ছিলেন প্রিন্স মোহাম্মদ - কিন্তু এখন অনেকেই গভীরভাবে সন্দেহ করছেন যে এ হত্যাকান্ডের পেছনে হয়তো তার হাত ছিল। এর ফলে সৌদি আরবের নেতৃত্ব ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর সবচাইতে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। কূটনৈতিক সংকট: সৌদি আরবের সরকার এখন ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছে। এতে দেশটিতে প্রাণহানি হয়েছে ব্যাপক, দেখা দিয়েছে গুরুতর মানবিক সংকট। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের পরাভূত করার জন্য সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছুটা যুক্তরাজ্যের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবেশী কাতারের সাথে বৈরিতার অবসান ঘটানোর জন্যও সৌদি আরবের ওপর চাপ বাড়ছে। কাতারে রয়েছে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের এক বিশাল ঘাঁটি - যা এ অঞ্চলে মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘাঁটিতে ১৭টি দেশের লোক কাজ করে। তাই যুক্তরাষ্ট্র চায় কাতার-সৌদি বৈরিতার দ্রুত অবসান। কি হতে পারে এমবিএসের? বিবিসির বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, সৌদি সরকার হয়তো এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না। কিন্তু এটা খুবই সম্ভব যে কোনোভাবে তার ডানা কেটে দেয়া হবে, অর্থৎ তার ক্ষমতা ও প্রভাব অন্তত কিছুটা খর্ব করা হবে। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকছেন জামাল খাসোগজি তিনি কি তার বর্তমান পদে থাকবেন? মোহাম্মদ বিন সালমান 'যুবরাজ' অর্থাৎ বর্তমান বাদশার উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন ২০১৭ সালের জুন মাসে। বিবিসির ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, তাকে যদি তার পদ থেকে একেবারেই সরিয়ে দেয়া হয় - সেটা হবে খুবই নাটকীয় ও বিস্ময়কর। বরং মনে করা হচ্ছে, তার উপাধি ও মর্যাদা হয়তো অপরিবর্তিতই থাকবে। কারণ তিনি এখনো তার পিতা বাদশা সালমানের প্রিয় পুত্র। তবে তার হাতে থাকা কিছু ক্ষমতা হয়তো চুপিসারে অন্যদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এর ফলে অনেকটা আগের মতোই ক্ষমতার ভাগাভাগির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। এতে হয়তো দেশটিতে একটা স্থিতিশীলতা আসবে। হয়তো এর ফলে যুবরাজ সালমানের শত্রু-সমালোচকের সংখ্যাও কমে আসতে পারে। রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় এমন আরো সৌদিদের নিয়ে আসা হবে। কারণ, গত বছর জুন মাস থেকে সৌদি আরবে কার্যত এক ব্যক্তির শাসন চলছে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট কতটা নিশ্চিত? একদিন আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে রিপোর্ট বেরোয় যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই আসলে সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে সিআইএ বিশ্বাস করে। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ যে সরাসরি সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে এসেছে, সেটি সিআইএ ধারণা করছে অংশত একটি ফোন কলের ভিত্তিতে। এ ঘটনার পর যুবরাজ সালমানকে নিয়ে গভীর প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স খালেদ বিন সালমান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত, তিনি নাকি জামাল খাসোগজিকে ফোন করেছিলেন। যুবরাজের নির্দেশেই নাকি তিনি খাসোগজিকে ফোন করে আশ্বাস দেন যে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তিনি যেতে পারেন, তার কোন বিপদ হবে না। সিআইএ'র ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারা এর প্রমাণগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, এমন একটি হত্যাকান্ড কেবলমাত্র যুবরাজ মোহাম্মদের অনুমতি নিয়েই হতে পারে। বিবিসির ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, হত্যাকান্ডের দিনে ঘাতক দলটি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে ফোন করেছিল বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলছেন, এসব তথ্য অত্যন্ত গুরুতর কিন্তু এতেও একেবারে নির্ভুলভাবে কিছু প্রমাণ হয় না। তবে রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান দাবি করছেন, জামাল খাসোগজির সঙ্গে এক বছর ধরে তার কোন যোগাযোগ হয়নি তবে সৌদি আরব এরকম দাবিকে মিথ্যা বলে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, যুবরাজ এই হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলছেন, মার্কিন সরকার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছেছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে যেসব খবর বেরুচ্ছে -সেগুলো নির্ভুল নয়। তিনি বলেন হোয়াইট হাউস এ ঘটনার ব্যাপারে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং 'প্রাসঙ্গিক তথ্য' বের করার জন্য কাজ করে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ ব্যাপারে সিআইএ'র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। | 'মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ মনে করে যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন' - এমন খবর বেরুনোর পর অনেকের মনেই এ প্রশ্ন উঠছে যে - এর পর যুবরাজের পরিণতি কি হতে পারে? |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় দমকল বাহিনী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মফিজুল হককে প্রধান করে গঠিত একটি তদন্ত কমিটির ওই প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাসায়নিক নয়, বরং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত ১০.৩০ মিনিট নাগাদ চকবাজারের চুরিহাট্টা জামে মসজিদ সংলগ্ন আসগর লেন, নবকুমার দত্ত রোড ও হায়দার বক্সলেন-এর মিলনস্থলে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এতে বলা হয়, এই গলিপথের একপাশে ওয়াহিদ ম্যানশন, অন্যপাশে বাচ্চু মিয়ার বাড়ি। উক্ত ওয়াহিদ ম্যানশনের নিচতলায় হোটেল এবং উপরের তলায় একটি কসমেটিকসের গোডাউন ছিল। আরও পড়তে পারেন: চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: দাহ্য পদার্থ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তর যা বলছে ভয়াবহ আগুনে নিহত ৭৮, স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে? এছাড়াও আশেপাশে কয়েকটি দোকানে বিক্রয়ের জন্য প্লাস্টিকের গ্রেনুলার রক্ষিত ছিলো, তবে আশেপাশে কেমিকেলের কোন কারখানা বা গোডাউন ছিল না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কমিটি বলেছে, এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারবাহী একটি গাড়ি রাখা ছিল এবং সে সময় হোটেলে অথবা গাড়িতে রাখা একটি গ্যাস সিলিন্ডার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। "উক্ত বিস্ফোরণের ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং উক্ত আগুন বৈদ্যুতিক লাইনের ট্রান্সফরমারে ধরে যায়। এতে উক্ত ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে।" অগ্নিকাণ্ডের পর চকবাজারের পরিস্থিতি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদ্যুতিক লাইনের ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণের পর সম্পূর্ণ এলাকা পুরো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে বের হওয়ার পথ হারিয়ে ফেলেন। ওয়াহিদ ম্যানশন ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং সিলিন্ডারভর্তি গাড়িটি ভস্মিভূত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, রাস্তায় কসমেটিকসের প্রচুর বোতল ও প্লাস্টিকের গ্রেনুলার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের স্থানে পরিদর্শনে গিয়েছিলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সহ সরকারী কর্মকর্তারা। এরপর শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনটি দেয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর ঘটনার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে যে ৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৪১ জনই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ কোন রোগী থেকে কেমিকেলের চিহ্ন অথবা গন্ধ পাওয়া যায়নি এবং অগ্নিদগ্ধ দেহগুলো 'ড্রাই ফ্রেম'-এ দগ্ধ ছিল - বলছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন। অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মফিজুল হককে আহবায়ক করে যে ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। | ঢাকার চকবাজারে যেভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, সে সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিক্ষোভের দৃশ্য মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এই অঙ্গীকার করেছেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলের তেরজন সদস্যের মধ্যে নয়জনই শহরে 'জননিরাপত্তার একটি নতুন মডেলে'র কথা বলছেন। মেয়র জ্যাকব ফ্রে আগে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীদের দুয়ো শুনেছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আমেরিকায় পুলিশ মানুষ হত্যা করলেও দোষী সাব্যস্ত হয় না কেন? আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে কেন কিছু প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় লন্ডনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ: বর্ণবাদের যাতাকলে ৩০ বছর কলিন পাওয়েল ওদিকে কলিন পাওয়েল একজন রিপাবলিকান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের একজন। তিনি বলছেন সামনের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে ভোটই দেবেননা। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবেলা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার কঠোর সমালোচনা করে মিস্টার পাওয়েল বলেছেন প্রেসিডেন্ট 'সংবিধান থেকে সরে যাচ্ছেন'। অবশ্য মিস্টার ট্রাম্পও যথারীতি এর জবাব দিয়ে মিস্টার পাওয়েলকে 'অত্যন্ত অতিমূল্যায়িত' বলে খোঁচা দিয়েছেন। কলিন পাওয়েল সম্ভবত একমাত্র আফ্রিকান আমেরিকান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিক্ষোভ দমনে আর্মি নামানোর যে হুমকি দিয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে তাতে সর্বশেষ সংযোজন মিস্টার পাওয়েল। আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিসে পুলিশী হেফাজতে নিহত হন গত ২৫শে মে এবং তার মৃত্যুর জের ধরে দেশটিতে তীব্র বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন তৈরি হয়েছে। রোববার সিটি কাউন্সিলের তের জন সদস্য বিক্ষোভকারীদের সামনে এসে স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে ভেঙ্গে দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন এবং এর পরিবর্তে জননিরাপত্তায় নতুন মডেল তৈরির কথা বলেছেন যা সত্যিকার অর্থেই কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখবে। এদিকে পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করায় নিরাপত্তামূলক কিছু পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে এক সপ্তাহ ধরে চলা কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে এবং মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি ন্যাশনাল গার্ডকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আন্দোলনের প্রতি কয়েকটি শিশুর সংহতি কলিন পাওয়েল যা বলেছেন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "আমাদের একটি সংবিধান আছে এবং আমাদের সেটি অনুসরণ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ক্রমশ তা থেকে দূরে সরছেন"। সাবেক এই চার তারকা জেনারেল বলেন, ট্রাম্প যেভাবে কথা বলছেন আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। "আমি নিঃসন্দেহে কোনো ভাবেই তাকে সমর্থন করতে পারি না"। উদারপন্থী রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত মিস্টার পাওয়েল ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্পকে সমর্থন দেননি। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে ইউরোপে, এটি মাদ্রিদের বিক্ষোভ ট্রাম্প যেভাবে জবাব দিলেন টুইটারে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মিস্টার পাওয়েলকে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে জড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, "কলিন পাওয়েল বলেননি ইরাকে মানববিধ্বংসী অস্ত্র আছে? তাদের ছিলোনা কিন্তু আমরা যুদ্ধে জড়িয়েছি"। শনিবার বিক্ষোভের সময় হোয়াইট হাউজের সামনে সেনা মোতায়েন করা হয় বিক্ষোভের কী অবস্থা সহিংস বিক্ষোভ এখন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে এবং রোববার কয়েকটি ইউরোপীয় দেশেও প্রতিবাদ হয়েছে। শনিবার বড় র্যালী হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো ও স্যানফ্রান্সিককোতে। | যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরে আলোচনায় আসা মিনিয়াপোলিসের স্থানীয় কাউন্সিল সদস্যরা সেখানকার পুলিশ বিভাগই ভেঙ্গে দেয়ার কথা বলেছেন, যাকে চলমান আন্দোলনের বড় অর্জন মনে করা হচ্ছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জেদ্দার বিমান বন্দরে হজযাত্রীদের লাইন ভিসা জটিলতার কারণে যাত্রী কম থাকায় রোববারও একটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১৯টি ফ্লাইট বাতিল হলো। হজের শেষ ফ্লাইট ২৬শে আগস্ট। কিন্তু মোট হজ যাত্রীর তিন ভাগের দুভাগই এখনো বাকি রয়ে গেছে। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ হজের যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন গত বছরের নভেম্বর মাসে। দেশের বাইরে নিয়মিত ভ্রমণ করেন মি. আহমেদ। কিন্তু তিনি বলছেন, এত জটিল প্রক্রিয়া অন্য কোনও ভ্রমণে কখনো দেখেননি। মি. আহমেদ বলেন, এখন শেষ মুহূর্তে এসে ফ্লাইট নিয়ে আশংকা করছেন তিনি। এবছর হজ যাত্রীর সংখ্যা এক লক্ষ ২৭ হাজারের মতো। যার মধ্যে মোটে এক তৃতীয়াংশ এখনো পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। অর্থাৎ ৮৬০০০ হজ যাত্রী এখনো যেতে পারেননি। রোববার পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজারের মতো হজ যাত্রীর এখনো ভিসাই বাকি। সেটি এখনো উদ্বেগের বিষয়। মক্কায় হাজীদের তাঁবু কর্তৃপক্ষ অগাস্টের ১৭ তারিখের মধ্যে ভিসা সম্পন্ন করার সময় বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে ভিসা সম্পন্ন হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাও করছে। কিন্তু ২৬শে আগস্ট হজের শেষ ফ্লাইট। ইতিমধ্যেই ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট নিয়ে গোলযোগের আশংকার মধ্যেই এজেন্সিগুলো বলছে, বাংলাদেশে থেকে শুধু দুটো এয়ারলাইন্সের হজ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। আর সেই দুটি হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারওয়েজ। মাত্র দুটি বিমান কোম্পানি এত হজ যাত্রীর জন্য ফ্লাইটের সময়সূচী শেষমুহুর্তে দিতে পারবে কিনা সেনিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোর সমিতি হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলছেন, "সৌদি আরবের একটি নিয়ম হলো ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সৌদিতে হজের ফ্লাইট যেতে হবে। অর্থাৎ অরিজিন কান্ট্রি থেকে গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট। শুধুমাত্র বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সৌদি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এটাই আমাদের বলা হয়।" মি. হোসাইন বলছেন, শুধু দুটি এয়ারলাইন্সের হজ যাত্রী বহনের নিয়ম বদলানো এখন খুবই দরকার। তিনি বলেন, "থার্ড ক্যারিয়ার অর্থাৎ যেমন মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক অন্য এয়ারলাইন্স। তারা হয়ত তাদের নিজেদের দেশে আগে যাবে তারপর সৌদি আরব। সেরকম বিমান কোম্পানির মাধ্যমে হজ যাত্রী বহনের অনুমোদন দেয়া উচিত। এতে করে ভাড়ায় প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং অনেক বেশি হজ যাত্রী বহন করা যাবে।" পবিত্র কাবায় মুসলমানদের প্রার্থণা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অবশ্য বলছেন, সৌদি সরকারের করা নিয়ম তারা এখনই বদলাতে পারছেন তা তবে এবার হজ যাত্রীদের যাতে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট সংকট না হয় সেজন্য সৌদি বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ২০টি ফ্লাইটের স্লট চাওয়া হয়েছে। তিনি বিবিসিকে বলেন, "আমাদের উড়োজাহাজ রেডি আছে। নতুন একটা জাহাজ ইতিমধ্যেই এসেছে। আগামীকাল ও পরশুর মধ্যে আরো দুটো আসবে। কিন্তু ভিসা যদি না হয় আর যাত্রী যদি না হয় তাহলে তো ফ্লাইট পরিচালন করা যায়না।" অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৩০০ হজ এজেন্ট রয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগ প্লেনের টিকেট অল্প কিছু এজেন্টের হাতে চলে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টিকে প্রতিবছরই ফ্লাইট জটিলতার জন্য দায়ী করা হয়। | বাংলাদেশে হজ যাত্রীদের ভিসা জটিলতার পাশাপাশি এখন ফ্লাইট নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকার পোস্তগোলা শ্মশান। তখন আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে ঢাকার পোস্তগোলায় জাতীয় শ্মশানে। শ্যামপুর থানার ওসি মোঃ: মিজানুর রহমান বলছেন, সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে ঠাঁটারিবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ীর সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। রাতে সেই শিশুটিকে পোস্তগোলার শ্মশানে সমাধি করা হয়। ''রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সের পাঁচ কিশোর সেই সমাধি খুড়ে শিশুটির মৃতদেহ বের করে আনে। এক পর্যায়ে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে শিশুটির গলা কেটে লাল রঙ মেখে তান্ত্রিক সাধনা করতে শুরু করে।'' তখন শ্মশানে থাকা আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের ঘিরে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ পাঁচজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আরো পড়ুন: মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা আইনস্টাইনের তত্ত্ব অস্বীকার করলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা হিন্দুদের '১০ সন্তান নিতে' বললেন ভারতের সন্ন্যাসী 'অলৌকিক শক্তির অধিকারী' হওয়ার চেষ্টা? ওসি মিজানুর রহমান বলছেন, ''জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে যে, এরকম সাধনা করলে নাকি তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হতে পারবে। এই চিন্তা থেকে তারা ওই সাধনা করেছে।'' তবে মৃতদেহ শ্মশানে থেকে তুলে সাধনা করার কোন বিধান হিন্দু ধর্মে নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে তান্ত্রিক সাধনার অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্যামপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলছেন, "তারা এই প্রথম এরকম চেষ্টা করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।" তবে এখানকার শ্মশানে বা আমার চাকরির অভিজ্ঞতায় এ ধরণের ঘটনার কথা আর শুনেন নি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি। আটক কিশোরদের সবার বাবা ডোম, যারা মৃতদেহ কাঁটাছেড়া বা শ্মশানের মৃতদেহ পোড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পুলিশ বলছে। বুধবার এই কিশোরদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ধর্না তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কার্ল মার্কসের সমাধিতে হাতুড়ি দিয়ে হামলা বাংলাদেশে ব্লগিং-এর আগ্রহ কী কমে গেছে? | গভীর রাতে শ্মশানে গিয়ে মাটি খুড়ে সদ্য মারা যাওয়া এক নবজাতকের মৃতদেহ বের করে আনে পাঁচ কিশোর। এরপর তারা মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাল রঙ মেখে তন্ত্র সাধনা শুরু করে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মার্কিন তারকা রোস ম্যাকগাওয়ানের (ডানে) সাথে হার্ভে উইনেস্টেন ইতোমধ্যেই মিরাম্যাক্স এবং উইনস্টেইন কোম্পানী ৮১টি অস্কার পুরষ্কার পেয়েছে। কিন্তু যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে বুধবার জানায় সংস্থাটি। ২০১৫ সালে এক নারী হার্ভে উইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন অভিযোগ করলেও তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং এ নিয়ে নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন মি: উইনস্টেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণাদি তাঁরা পাননি, ফলে তাঁকে অপরাধীও বলা সম্ভব হয়নি। তবে তারা এটাও বলছেন যে অস্কারজয়ী এই প্রযোজকের "নারীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের উদাহরণ রয়েছে"। হার্ভে উইনস্টেন বলছেন তার বিরুদ্ধে আনা বেশিরভাগ অভিযোগই মিথ্যা। সম্প্রতি এই মার্কিন প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন হলিউডের তিন অভিনেত্রী। ৬৫ বছর বয়সী এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন হলিউডের জনপ্রিয় তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও গিনেথ প্যালট্রো। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক লিখিত বিবৃতিতে হার্ভে উইনস্টেনের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও গিনেথ প্যালট্রো। আরো পড়ুন:রোহিঙ্গা সংকট: ‘আরসা’র সত্য অনুসন্ধানে বিবিসি ২০০২ সালে গুইনেথ প্যালট্রোর সঙ্গে হার্ভে উইনস্টেন ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া 'এমা' সিনেমার প্রযোজক ছিলেন হার্ভে উইনস্টেইন। ছবির প্রধান চরিত্র জেন অস্টেনের ভূমিকায় কাজ করেন গিনেথ প্যালট্রো। মিস প্যালট্রো তাঁর দেওয়া বিবৃতিতে জানান, একবার নিজের হোটেল রুমে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন হার্ভে উইনস্টেন। সে সময় তাঁর দেহে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন মি: উইনস্টেন এবং মিস প্যালট্রোকে কুপ্রস্তাব দেন। গিনেথ প্যালট্রো তখন হলিউডের কম বয়সী এক উঠতি তারকা। "আমার বয়স তখন খুব বেশি নয়। এরপর আবার হার্ভে উইনস্টেইনের ছবিতেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, সেদিনের ঘটনায় আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার বয়ফ্রেন্ড ব্র্যাড পিটকে এ কথা বলেছিলাম, সে তখন প্রযোজকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। আমার মনে হচ্ছিল মি: উইনেস্টেন আমাকে চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে দেবে"। ১৯৯৮ সালে 'হার্ট' ছবির প্রিমিয়ারে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও জিলিয়ান অ্যান্ডারসন অন্যদিকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জানান, ১৯৯৮ সালে 'হার্ট' ছবিটির মুক্তির সময় হার্ভে উইনস্টেন তাঁকে হোটেল রুমে ডেকেছিলেন। "'হার্ভে উইনস্টেইনের সঙ্গে কাজ করে আমার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর এ কারণে আমি এই প্রযোজকের সঙ্গে পরে আর কোনো কাজ করিনি, আমার অন্য নারী সহকর্মীদেরও এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছি"। "নারীদের প্রতি এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না, তা আপনি যেকোনো দেশে যে কোনো অবস্থানেই থাকুন না কেন" বলেন মিস জোলি। আরো পড়ুন: আমেরিকায় ক্যাসপারস্কি ব্রিচ করেছিল রুশ হ্যাকাররা কীভাবে অ্যামাজনকে ৫০ লক্ষ টাকা ঠকাল দিল্লির যুবক রাখাইনে গিয়ে কী দেখলেন বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত? | মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় তার ভবিষ্যত নির্ধারণে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে অস্কার পুরষ্কার প্রদানকারী সংস্থা দ্য ইউএস অ্যাকাডেমী। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | কিন্তু এই দূষণ এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সাগর মহাসাগরেও। বলা হচ্ছে, এই দূষণ এখনই থামানো না গেলে জলজ প্রাণী এমনকি পৃথিবীর মানুষের জন্যেও এটি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই দূষণের ওপরেই একটি ছবি তৈরি করেছে প্লাস্টিক ওশান্স নামের একটি দাতব্য সংস্থা। প্লাস্টিকের কবল থেকে মহাসমুদ্রকে বাঁচাতে প্রচারণা চালাচ্ছে এই সংস্থাটি। তারা বলছে, প্রত্যেক বছর সারা বিশ্বে ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক তৈরি করা হয় যার অর্ধেকই হয় শুধু একবার ব্যবহারের জন্যে। এবং প্রত্যেক বছর ৮০ লাখ প্লাস্টিক গিয়ে পড়ে আমাদের সমুদ্রের ভেতরে। সুখবর হচ্ছে, মহাসমুদ্রে এই প্লাস্টিক দূষণকারী কয়েকটি দেশ এসব পরিষ্কার করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের এক সম্মেলনে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্স বলেছে, মহাসমুদ্রকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে মুক্ত রাখার ব্যাপারে তারা কাজ শুরু করবে। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অনেকেই বলছেন, এপর্যন্ত যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলো যথেষ্ট নয়। তবে চারটি দেশের এই অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। একটি দ্বীপে ছড়িয়ে পড়া প্লাস্টিকের জঞ্জাল সমুদ্রে প্লাস্টিকের একটা বড় অংশ চলে যায় মাছ ও পাখির পেটে। এছাড়াও সাগরের তলদেশে আরো যেসব প্রাণী আছে সেগুলোর পেটেও পাওয়া গেছে প্লাস্টিকের টুকরো।। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্লাস্টিকেরই উৎস সাগর থেকে বহু দূরে। বিশেষ করে যেসব দেশে ভোক্তা অর্থনীতি গড়ে উঠেছে কিন্তু তারা এখনও ঠিকমতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে পারেনি। মহাসমুদ্রের এই প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে শুনুন বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী প্রফেসর সায়েদুর রহমান চৌধুরীর সাক্ষাৎকার। শুনতে হলে উপরের অডিও লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান- হেল্মহোলৎস সেন্টার বলছে, মহাসাগরে প্লাস্টিক দূষণের ৭৫ শতাংশই আসে মাত্র দশটি নদী দিয়ে এবং এসবের বেশিরভাগই মূলত এশিয়ার। বলা হচ্ছে, এসব নদীতে প্লাস্টিকের দূষণ যদি অর্ধেক কমানো যায়, তাহলে সারা বিশ্বে এই দূষণের হার ৩৭ শতাংশ কমানো সম্ভব। প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক। ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত থাইল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ টন বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে যার ১২ শতাংশই ছিলো প্লাস্টিক। এই সমস্যা সমাধানে তারা আগামী ২০ বছরের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার স্কুলগুলোতে এবিষয়ে চালু করা হয়েছে শিক্ষামূলক কর্মসূচি। আর ফিলিপাইন্সে প্রণীত হচ্ছে নতুন নতুন আইন কানুন। স্ট্রোকের চিকিৎসায় মাকড়সার বিষ অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সার নিঃসৃত বিষ স্ট্রোকের চিকিৎসায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ কুইন্সল্যান্ড এবং মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি চালিয়েছেন। গবেষণায় তারা অস্ট্রেলিয়ার তিনটি মাকড়সা থেকে বিষ সংগ্রহ করেছেন। তারপর সেটি মিশিয়েছেন হিলা নামের বিশেষ একটি প্রোটিনের সাথে। তারপর সেটিকে পরীক্ষাগারে একটি ইঁদুরের শরীরে ইনজেক্ট করে তারা দেখেছেন, ইঁদুরের মস্তিষ্কে এটি এমন এক রাসায়নিক বিক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করে, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে স্ট্রোকের পর মানুষের মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক হিসেবে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে প্রত্যেক দুই সেকেন্ডে কোথাও না কোথাও একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে বছরে প্রায় সত্তর লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এবং আরো বহু মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শিশুর ঘর থেকে টিভি সরিয়ে ফেলুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর শোওয়ার ঘরে টেলিভিশন আছে তারা, যাদের ঘরে টিভি নেই তাদের চাইতে মোটা। শিশুর শোওয়ার ঘরে টিভি তার স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর, বলছেন গবেষকরা ব্রিটেনে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। তারা দেখেছেন, এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে বেশি। ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের বেলাতেও একই রকমের হয় কীনা বিজ্ঞানীরা এখন তার ওপরেও পরীক্ষা চালাবেন। তারা বলছেন, বেশি মাত্রায় স্ক্রিনের সামনে থাকলে শিশুদের স্বাস্থ্য নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুক্তরাজ্যে ১২ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ের ওপর এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। দেখা গেছে, ব্রিটেনে অর্ধেকেরও বেশি শিশুর শোওয়ার ঘরে টেলিভিশন আছে। বিজ্ঞানের আসর পরিবেশন করেছেন মিজানুর রহমান খান | পরিবেশে প্লাস্টিকের দূষণ ক্রমশই বাড়ছে। এই দূষণের বিষয়ে আমরা যখন কথা বলি তার বেশিরভাগ জুড়েই থাকে আমাদের চারপাশের দূষণের কথা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জাতিসংঘ মহাসচিবের টুইট। কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছেন তিনি। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে শুনেছেন তাদের পালিয়ে আসার কাহিনী। এর মধ্যেই মি. গুতেরেস টুইট করে বলেছেন, "মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যা আর ধর্ষণের আমি যে বিবরণ আমি শুনেছি সেটা অকল্পনীয়।" রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরের সময় তার সাথে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও। জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পরে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করে গেলেও সংস্থাটির মহাসচিব এই প্রথম তাদেরকে দেখতে গেলেন। আরো পড়তে পারেন: জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর: যা পেতে পারে বাংলাদেশ খেলার আগে পুতিনের ফোনই কি রাশিয়ার সাফল্যের রহস্য? আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইনিয়েস্তার অবসর এমবাপে: কীভাবে হলেন ফরাসী ফুটবলের নতুন সেনসেশন 'আমার হৃদয় ভেঙে গেছে' পরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের যে দুঃখ কষ্ট তিনি দেখেছেন তাতে তার হৃদয় ভেঙে গেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আকবর হোসেন। সেখান থেকে তিনি জানান, মি. গুতেরেস বলেছেন এসব ক্যাম্পে যে অবস্থা তিনি দেখেছেন তার এক ট্র্যাজিক ঘটনা। "ছোট ছোট রোহিঙ্গা শিশুদের দেখে আমার নাতি নাতনিদের কথা মনে পড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে কিরকম হতো," বলেন মি. গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ফিরে যেতে পারেন সেজন্যে তারা কাজ করছেন। তবে তিনি বলেছেন, "তাদের ফিরে যাওয়া শুধু সেখানে অবকাঠামো তৈরির বিষয় নয়। তারা যাতে সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।" মি. গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই অবস্থা এভাবে চলতে পারে না। এর একটা সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, "এই শিবিরগুলো পরিদর্শন করলে, রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগ দেখলে - কারো মর্মাহত না হয়ে উপায় নেই। ভয়াবহ সহিংসতা, হত্যা, ধর্ষণ নিযার্তন, গ্রাম-বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবার গল্প শুনেছি। এটা সম্ভবত পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লংঘনের সবচেয়ে করুণ ঘটনাগুলোর একটি। আমি এর আগে উত্তর রাখাইনে দু'বার গিয়েছি। আমার কোন সন্দেহ নেই যে রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচাইতে বেশি বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠীরগুলোর অন্যতম।" মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত অগাস্ট মাসের পর থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে এর আগে জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে। বিশ্বব্যাংকও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখাশোনা করার জন্যে গত সপ্তাহে ৪৮ কোটি ডলারের একটি অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে। | মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখা ও নিজের কানে শোনার পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, "তারা বিচার চায়। নিরাপদে ফিরে যেতে চায় বাড়িতে।" |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে বাংলাদেশেও। (ফাইল ফটো) এই তালিকায় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার বহু নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম রয়েছে। তালিকায় অন্যান্যদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন অধ্যাপকের নাম রয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন নয় জন। তালিকায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাঙালী। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তালিকায় থাকা শিক্ষকদের কোন বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এই তালিকাটি যিনি তৈরি করেছেন, সেই রায়া সরকার ফেসবুকে নিজেকে একজন আইনজীবী হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তিনি কারাবন্দীদের অধিকার, প্রজনন অধিকার এবং জাতপাতের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে আগ্রহী। রায়া সরকারের ফেসবুক ওয়াল থেকে যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করার আগে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি পোস্ট করেন, "আপনারা যদি এমন কোন শিক্ষক সম্পর্কে জানেন যারা শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের নামধাম আমাকে পাঠালে আমি সেটা তালিকায় যোগ করবো।" এই পোস্ট দেয়ার পর পরই তালিকায় একের পর এক নাম যোগ হতে থাকে। ফেসবুকে এর পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য পোস্ট হতে থাকে। কোন ধরনের ব্যাখ্যা বা ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা ছাড়াই যেভাবে এই নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে ভারতের কিছু নারীবাদী ব্যক্তিত্ব বক্তব্য দিয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে আয়েশা কিদওয়াই, কবিতা কৃষনান, ভৃন্দা গ্রোভারসহ ক'জন শীর্ষস্থানীয় নারী অধিকার আন্দোলনকর্মী বলছেন, তালিকায় এমন দু'একজন রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এর আগে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাদের নামের পাশে এমন আরো কিছু নাম রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। কোন ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে কারও নাম প্রকাশ করার বিষয়টি আশঙ্কাজনক বলে বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ কেটামিন মাদক হিসেবে বাংলাদেশে থেকে পাচার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার পরিকল্পনা সফল হবে? | যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাঙালী আইনজীবী ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালায় এমন ৬০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের নামের তালিকা একটি প্রকাশ করার পর সোশাল মিডিয়ায় সেটি ভাইরাল হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ছাপানো বই কি একদিন উঠে যাবে? পিয়ার্সন আরও জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ছাপানো পাঠ্যপুস্তক কেবল ধার করতে পারবে। এসব বইয়ের নতুন সংস্করণও আর অতটা ঘন ঘন বেরুবে না। পিয়ার্সন চাইছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের প্রকাশ করা ই-টেক্সট বুকই বেশি কেনে। এসব ই-টেক্সটবুক সব সময় আপডেট করা হবে। পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন বলেছেন, তাদের মোট বিক্রির প্রায় অর্ধেকের বেশি আসে ডিজিটাল থেকে। কাজেই তারা সংবাদপত্র, সঙ্গীত বা সম্প্রচার শিল্পের মতো একই পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রীর বেশিরভাগই এখন ডিজিটাল ফর্মেই পাওয়া যাবে। পিয়ার্সনের মোট আয়ের ২০ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোর্সের পাঠ্যসামগ্রী বিক্রি থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা খরচ বাঁচানোর জন্য নতুন পাঠ্যবই কেনার চেয়ে বরং পুরোনো পাঠ্যবই ধার করছে বেশি। এটি বন্ধ করার জন্য পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ছাপানো পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ আর বের করবে না। পিয়ার্সন এর আগে তিন বছর অন্তর অন্তর তাদের পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ বের করতো। জন ফ্যালন বলেন, আমরা হয়তো আরও অনেক বছর ছাপানো টেক্সট বই ব্যবহার করবো, কিন্তু লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ছাপানো বইয়ের ভূমিকা ক্রমেই সীমিত হয়ে আসবে। "আমরা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমেই নতুন কিছু শিখি। এক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল পরিবেশ কিন্তু অনেক বেশি কার্যকর।" "ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক ক্রমাগত আপডেট করা যায়, সেখানে ভিডিও দেয়া যায় এবং শিক্ষার্থীরা কেমন করছে তার মূল্যায়নও তাদের দেয়া যায়।" তবে ডিজিটাল পাঠ্যসামগ্রী যেভাবে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে কিনতে হয়, তার ফলে পাঠ্যপুস্তকের লেখকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা আছে। যেমনটি ঘটেছে মিউজিক স্ট্রীমিং সার্ভিস চালু হওয়ার পর শিল্পীদের ক্ষেত্রে। পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন তবে পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন এরকম আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, তারা বইয়ের লেখকরা যাতে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো উপার্জন করতে পারেন সেরকম ব্যবস্থা রাখবেন। তিনি মনে করেন, 'নেটফ্লিক্স এবং স্পটিফাই জেনারেশন' কোনকিছু কিনে নিজের সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী নয়, তারা সবকিছু 'ভাড়া' নিতে চায়। পিয়ার্সনের ব্যবসায় সংকট চলছিল অনেকদিন ধরে, তাদের বিক্রি এবং মুনাফা কমছিল। সেজন্যে তারা এটিকে ঢেলে সাজানোর এক কষ্টকর প্রক্রিয়া শুরু করে। পিয়ার্সন পাঠ্যপুস্তক ছাপানো বন্ধ করে দেয়ার এই পরিকল্পনা প্রথম বাস্তবায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ধাপে ধাপে অন্য দেশের বাজারেও তারা একই কাজ করবে। অন্যান্য খবর: রংপুরেই দাফন করা হচ্ছে এরশাদকে চাঁদে যাওয়া নিয়ে সোভিয়েত ও আমেরিকার লড়াই ইরানের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন গুরুতর নয় -ইইউ | বিশ্বে পাঠ্যপুস্তকের সবচেয়ে বড় প্রকাশক পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেবে। তাদের সব শিক্ষা বিষয়ক জিনিসপত্র এখন থেকে প্রথম কেবল ডিজিটাল ফর্ম্যাটেই পাওয়া যাবে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | জন-মানবহীন হেন্ডারসন দ্বীপে আবর্জনার দঙ্গল হেন্ডারসন দ্বীপে জড় হওয়া প্লাস্টিক আর জঞ্জালের এই পাহাড় নিয়ে বিস্ময় আর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন পানিতে কত জঞ্জাল যে ফেলা হচ্ছে তার প্রমাণ এই দ্বীপটি। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আরেকটি কারণ দ্বীপটি সাগরের মূল স্রোতধারার খুব কাছে। ব্রিটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে হেন্ডারসন দ্বীপে প্রতি বর্গমিটারে ৬৭১ টি জঞ্জাল। সমীক্ষা রিপোর্টটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাতে এই দ্বীপটিকে 'বিশ্বের আবর্জনার গর্ত' হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ভারতে তিন তালাকের বিচ্ছেদ ১ শতাংশেরও কম 'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মেয়েদের জন্য আতঙ্কের ' প্রায় ৩৮ মিলিয়ন প্লাস্টিক এবং আবর্জনার টুকরো জড় হয়েছে এই দ্বীপে মাছ ধরার বিভিন্ন জিনিস ছাড়াও দ্বীপের সাগরতীরে টুথব্রাশ, সিগারেট লাইটার, রেজারের মত জিনিসপত্রও রয়েছে। নানা রঙের, নানা আকৃতির টুপি ছড়িয়ে রয়েছে। গবেষক জেনিফার লেভারস বলছেন, "কাঁকড়াগুলো এখন পানির বোতল বা অন্যান্য পাত্রের মধ্যে বাসা বেঁধেছে।" ড লেভারস বলছেন, সাগরে ছুড়ে ফেলা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পরিবেশকে কতটা হুমকিতে ফেলেছে হেন্ডারসন দ্বীপের অবস্থা তার একটি নমুনা। "বিশ্বের প্রতিটি দ্বীপ এবং সাগরের প্রতিটি প্রাণীর ওপর এই জঞ্জালের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।" প্লাস্টিকের জঞ্জাল বিশেষ ক্ষতি করছে কারণ সেগুলো মাটিতে বা পানিতে মিশে যাছেনা। | দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রত্যন্ত জন-মানবহীন দ্বীপের সাগরতীরে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন প্লাস্টিক এবং আবর্জনার টুকরো জড় হয়েছে। বিশ্বের যে কোনো জায়গার তুলনায় প্লাস্টিক বর্জ্যের ঘনত্ব এখানে সবচেয়ে বেশি । |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সেন্সর প্যাচ এই সেন্সর ক্রমাগত রোগীর অবস্থা তার চিকিৎসকের কাছে পাঠাবে। বিজ্ঞানীদের যে দলটি এটি তৈরি করছেন তারা বলছেন, চিকিৎসকরা দূরে বসেই সর্বক্ষণ রোগীর অগ্রগতি অবনতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ফলে তার আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত একটি গবেষণার ফলাফল আমেরিকায় বিজ্ঞানীদের একটি সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়েছে। লিজি ম্যাকানিচ নামে এক ডাক্তার দু বছর আগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ ক সপ্তাহ ধরে নড়তে চড়তে বা কথা বলতে বা গিলতে পর্যন্ত পারছিলেন না। তার হাতে পরীক্ষামুলকভাবে এই সেন্সর পরানো হয়েছে। এই সেন্সর দেখতে ছোটো এক টুকরো প্লাস্টারের মতো যা চামড়ার সাথে লাগিয়ে দেওযা যায়। এরপর বিনা তারেই এই প্যাচটি চিকিৎসকদের কাছে তথ্য পাঠাতে পারবে। ডাক্তারের কাছে এভাবে সর্বক্ষণ পৌঁছুবে রোগীর তথ্য লিজি বিবিসিকে বলেন - এই সেন্সর দিয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর কোনো পেশী কাজ করছে আর করছে না তা বোঝা যাবে। ফলে স্ট্রোকের কারণে শরীরের ঠিক কোথায় ক্ষতি হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা যাবে। লিজির থেরাপিস্ট ক্রিস্টেন হোল বলেন, রোগীরা পরামর্শ মত কাজ করছে কিনা - তা বুঝতে এখন তাদের মুখের কথার ওপর ভরসা করতে হয়। "এখন এসব তথ্য আমি দুরে বসে এই সেন্সরের মাধ্যমে পেয়ে যাবো"। বিজ্ঞানীদের জন্য বড় যেটা চ্যালেঞ্জ ছিল তা হচ্ছে - একটি ছোটো নমনীয় প্যাচের মধ্যে প্রচুর সংখ্যায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঢোকানো যেটা আবার রোগীদের জন্য অস্বস্তি তৈরি না করে। শিকাগোর নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন রজার্স, যিনি এই সেন্সর প্যাচ আবিষ্কার করেছেন, বলছেন, "মানুষ বুঝতেই পারবে না এই প্যাচের ভেতর এত কারিগরি রয়েছে।" এ বছরের শেষে পরীক্ষা পর্ব শেষ হলে এটির বাণিজ্যিক উৎপাদন হয়তো শুরু হবে। | আমেরিকার বিজ্ঞানীরা হাতে বেঁধে রাখা যায় এমন একটি সেন্সর প্যাচ তৈরি করতে চলেছেন যা হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নিহতদের স্মরণে অনেক দেশে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি আট বছরের জায়ান চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় রবিবারের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সও আহত হন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সোমবার শেখ সেলিমের বাসায় গিয়ে তাকে সান্ত্বনা জানানোর পর শিল্পমন্ত্রী মি. হুমায়ূন বিবিসি বাংলাকে জানান, জায়ান চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। তবে জামাতা মশিউল হক চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এখনই তাকে দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না এবং তাকে হয়তো আরো কয়েকদিন সেখানে থাকতে হবে। তবে শিশুটির মৃত্যুর খবর এখনো তার বাবা-মাকে জানানো হয়নি বলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। মি. হুমায়ূন বলেন, প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল যে শিশুটি হয়তো নিখোঁজ রয়েছে, তবে পরে পরিবারের সদস্যরা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তার মরদেহ সনাক্ত করেন। শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তারা একটি হোটেলে ছিলেন। সকালে বোমা হামলার কিছু আগে বড় ছেলে জায়ানকে নিয়ে মি. চৌধুরী সকালের নাস্তা করার জন্য নিচের রেস্তোরায় যান। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া তখনো হোটেলে নিজেদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। জায়ান চৌধুরী ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করতো বলে জানা গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা: সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৯০জন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বাসস জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনেই সফরের সময় রবিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের পরিবার শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ''সেলিমের মেয়ে-জামাই ও নাতি এ সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেখান একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেয়ে-জামাই আহত হন এবং (গতকাল) বিকেল পর্যন্ত নাতির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।'' শ্রীলঙ্কায় হামলার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে এক শিশুসহ দুই বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি কারো পরিচয় জানাননি। শাহরিয়ার আলম বলেন, ''আমরা জেনেছি একটি পরিবারের চারজনের মধ্যে দুজন 'রিপোর্টেড' (খোঁজ পাওয়া গেছে)। বাকি দুজনের একজন শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিখোঁজ। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো কিছুই জানা যায়নি। আমরা আশা করছি তাদের কোনো হোটেল বা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা জানতে পারলেই জানিয়ে দেয়া হবে।" রবিবার ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানমালা চলার সময় শ্রীলঙ্কার অন্তত ছয়টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কোন কোন পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়? 'চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনার নানা খবর তদন্তে প্রভাব ফেলে' বাংলাদেশ থেকেই বেশি পর্যটক যায় ভারতে ২৪ বার নির্বাচনে হেরেও হাল ছাড়েননি যে ব্যক্তি | শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন মন্ত্রী। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | জেনি এলস আর কেট হ্যারবোর্ন পডকাস্টের ওই আলোচনা শুরুর ঠিক আগে আগে কাপড়চোপড় খুলে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে যান দুই উপস্থাপিকা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী থেকে তাদের নারী অতিথিরা আসেন। আলোচনার সময় তাদের শরীরেও কোন কাপড় থাকেনা। কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা? জেনি বলছেন, ''আমরা দেখতে চেয়েছি, নগ্ন অবস্থায় মানুষ কি সত্যিই সব কিছু খুলে বলে? মানুষ কি আরো খোলামেলাভাবে আলোচনা করে?'' ''যে নারীদের সঙ্গে আমরা এই অনুষ্ঠানে কথা বলেছি, তারা আসলে তাই করেছেন।'' নগ্ন হয়ে উপস্থাপনা বা অতিথি হয়ে আসা সহজ কাজ নয়। তবে কেউ সামনে নগ্ন হয়ে বসলে অনেকটাই হালকা হয়ে যাওয়া আর বিশ্বাস তৈরির ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান। আরো পড়তে পারেন: দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় কমনওয়েলথ সম্পর্কে যা হয়তো আপনি জানেন না চাকরিতে কোটাঃ কী আছে বাংলাদেশের আইনে? স্টুডিও থাকে কথা রেকর্ড করার যন্ত্রপাতি আর তিনজন নগ্ন মানুষ মানুষের শরীরের নানা চিত্র আর নগ্নতা নিয়েই তাদের ওই অনুষ্ঠান। এই দুই উপস্থাপিকা বিবিসি শেফিল্ডে সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন। এই সিরিজে ১০টি এপিসোড রয়েছে এবং বিবিসি শেফিল্ড বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে। যদিও নগ্নতার বিষয়ে আলোচনা হলেও সেটি প্রচার হয় পডকাস্টে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শোনা যায়। ফলে তাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসলে কারো চোখে পড়বে না। কিন্তু খোলামেলা আর আন্তরিক আলোচনার পরিবেশ তৈরির জন্যই তাদের এই উদ্যোগ। কেট বলছেন, ''আমাদের দুজনেরই বয়স ত্রিশের কোঠায়। মেয়েরা অনেক সময় ব্যয় করে তাদের শরীর নিয়ে, কিভাবে আরো চিকন বা ফিট হবে, চুলের স্টাইল কি হবে, চামড়া রোদে পুড়বে কিনা ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কি বিশাল সময় আমরা নষ্ট করেছি। কিন্তু সাধারণ নারীদের এর চেয়েও আরো অনেক বেশি সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।'' প্রায় এক বছর ধরে অনুষ্ঠানটি তৈরি করছেন কেট আর জেনি কেট বলছেন, ''প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সময় আমরা ভেবেছিলাম যে, একজন শক্তিশালী , বুদ্ধিমতী, মজার ধরণের একজন নারীর সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরুর করতে যাচ্ছি। কিন্তু নগ্ন হয়ে আলাপচারিতা শুরুর পর দেখা গেলো, তারা নিজের শরীর নিয়ে কতটা বিব্রতকর, নেতিবাচক কথাই না ভেবেছেন।'' তাদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন মডেল, মূত্র জটিলতায় ভোগা একজন নারী যাকে সবসময় মূত্র থলি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়, আর একজন মুসলিম নারী যিনি বিয়ের পরই প্রথম কোন নগ্ন দেহ দেখেছেন, যা ছিল তার স্বামীর। তাদের সঙ্গে গল্পে জীবনের বিচিত্র দিক, যৌন নির্যাতন, ব্যক্তিগত নানা বিষয় উঠে এসেছে। জেনি বলছেন, ''প্রায় একবছর আগে আমরা এই কাজটি শুরু করি। এখন আমি আমার নিজের শরীর নিয়ে শতভাগ স্বস্তি বোধ করি।'' | এটা ছিল বিব্রতকর, অস্বত্বিকর, কিন্তু আমরা সবাই ছিলাম একই রকম, হাসতে হাসতে বললেন জেনি এলস আর কেট হ্যারবোর্ন। যে দুজনে বিবিসি শেফিল্ডের দি ন্যাকেড পডকাস্ট অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | চান্দিকা হাতুরুসিংহা কেন এই সিদ্ধান্ত এখনো তা অন্তত সংবাদমাধ্যমের কাছে খোলাসা করেননি তিনি। বিসিবি জানলেও মুখ খুলছে না। বোর্ড এমনকী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি। তবে কলম্বোতে স্থানীয় সাপ্তাহিক সানডে টাইমসের ক্রীড়া সম্পাদক চাম্পিকা ফার্নান্দো বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি মোটামুটি নিশ্চিত যে হাতুরুসিংহা শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তিনি এই দায়িত্ব নিতে পারেন। "বিভিন্ন সূত্রে যে সব ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে ডিসেম্বর মাসের কোনো একটি সময়ে হাতুরুসিংহা শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। জুন মাসে গ্রাহাম ফোর্ড চলে যাওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কা উদগ্রীব হয়ে একজন কোচ খুঁজছে। এবার বোর্ডের প্রথম সারির পছন্দের তালিকায় ছিলেন হাতুরুসিংহা।" মি ফার্নান্দো বলেন, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর বলেছেন তারা হাতুরুসিংহাকে রাজী করাতে সমর্থ হয়েছেন। "মন্ত্রী ভেঙ্গে বলতে চাননি, কিন্তু তিনি একরকম নিশ্চিত যে হাতুরুসিংহা খুব শীঘ্রি দলের হাল ধরছেন।" শ্রীলঙ্কা বোর্ড এখন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ বোর্ড কাগজ-পত্রে তাকে কখন ছেড়ে দেবে, সেটার জন্য। তা পেলেই, আগামী মাসের মাঝামাঝি তার সাথে চুক্তি সই হবে বলে জোর ধারণা। "আমাদের কাছে যে খবর, হাতুরুসিংহা তার পদত্যাগ চূড়ান্ত করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে এ মাসেই বাংলাদেশ যাচ্ছেন। পরপরই তিনি কলম্বো আসবেন।" বাংলাদেশ বোর্ডের কর্মকর্তারা অন্তত প্রকাশ্যে বলছেন, হঠাৎ কেন হাতুরুসিংহা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তারা বুঝতে পারছেন না। শ্রীলঙ্কা দলের চাকরির জন্যই কি বাংলাদেশ ক্রিকেট ছাড়ছেন হাতুরুসিংহা ? সেটাই কি একমাত্র কারণ? তিনি কতটুকু জানেন ? চাম্পিকা ফার্নান্দো বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের সাথে তার কিছু সমস্যা নিয়ে কানাঘুষো শুনেছেন তিনি। "সেটাও হয়তো তার সিদ্ধান্তকে কিছুটা হলেও প্রভাবিত করেছে। কিন্তু এটা সত্যি যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড হাতুরুসিংহাকে ফিরিয়ে আনতে খুবই আগ্রহী ছিল। ২০১০ সালে দেশ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর আগে তিনি দলের শ্যাডো কোচ ছিলেন। সুতরাং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ভবিষ্যতে কোনো এক সময় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাকে তৈরি করছিলো।" কিন্তু সেসময় বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে, হাতুরুসিংহা দেশ ছাড়েন। এমনকী ২০১৬ সালে গ্রাহাম ফোর্ডকে নেওয়ার আগেও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড তার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য কিছু কারণে শেষ পর্যন্ত সেটি তখন আর এগোয়নি। "কিন্তু এবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড তাকে আনতে সমর্থ হয়েছে।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের উদ্ধৃত করে কয়েকটি মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে তারা এখনও পুরোপুরি হাল ছাড়েননি। হাতুরুসিংহা ঢাকায় আসলে শেষবারের মত তারা চেষ্টা করবেন তিনি যেন ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকেন। নিদেনপক্ষে জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার সাথে হোম সিরিজ পর্যন্ত যেন থাকেন। হাতুরুসিংহা বা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড কি তাতে রাজী হতে পারে? চাম্পিকা ফার্নান্দো বলেন, শ্রীলঙ্কা বোর্ড চাইছে যত দ্রুত সম্ভব হাতুরুসিংহা যেন যোগ দেন। "জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সাথে সিরিজ জেতার জন্য বোর্ড উন্মুখ। সুতরাং বাংলাদেশে ঐ অ্যাওয়ে সিরিজে হাতুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকবেন - এমন সম্ভাবনায় বোর্ড মোটেও খুশি হবেনা। বাংলাদেশ সিরিজের আগেই বোর্ড তাকে চাইবে, সন্দেহ নেই।" | দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অপদস্থ হওয়ার পর ঢাকায় না ফিরে কেন কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইমেলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি শেষ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন দিপক চাহার ভারতের করা ১৭৪ রানের জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ১৪৪ রান তুলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। নাগপুরে টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয়া বাংলাদেশ দলের শুরুটা ভালো হলেও ফিল্ডাররা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের উইকেট তুলে নেয়ার পর ষষ্ঠ ওভারেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লব শ্রেয়াস আয়ারের ক্যাচ ফেলে দেন। আয়ার শেষপর্যন্ত ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। বল হাতে আল আমিন, শফিউলরা ভাল পারফর্ম করলেও মোস্তাফিজুর রহমান আরো একবার ব্যর্থ হয়েছেন, ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায়। আরো পড়ুন: আজহার বেটিং কেলেঙ্কারি ভারত যেভাবে সামলায় সাকিব বনাম বিসিবি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা ক্রিকেট বুকি দীপক আগরওয়াল সম্পর্কে যা জানা যায় শেষ ম্যাচে বোলিংয়ে হতাশ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর, নাঈম শেখের সাথে মোহাম্মদ মিঠুন জুটি গড়েন। এই জুটিতে রান আসে ৯৮। নাঈম শেখ ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেললেও মোহাম্মদ মিঠুন বাদে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। পেস বোলার দিপক চাহার একাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামান। ৩ ওভার ২ বলে ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরার পুরষ্কারও পান দিপক চাহার। | ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩০ রানে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে এই অনুমতি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই মতামত দেওয়া হয়েছে এবং একারণে তাদের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "এই সিদ্ধান্তের কথা তাদেরকে এখন জানিয়ে দেওয়া হবে।" এর আগে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাহলে কি এবিষয়ে মানবিক দিকের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মি. খান বলেন, "মানবিক বিষয় দেখবো বলেই তো আমরা পাঠিয়েছি যে আইনের কোন জায়গায় তাকে (এই সুযোগ) দেওয়া যায় কিনা এবং আইনের মধ্যে যে সুযোগ নাই সেটা আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে।" "মানবিকতার কথা বিবেচনা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সাজা স্থগিত রেখে বাসায় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন," বলেন তিনি। কারাগার থেকে বাড়িতে ফিরছেন খালেদা জিয়া, ফাইল ফটো। বিএনপির প্রতিক্রিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, "এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। এবং এটা অত্যন্ত সত্য যে একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যটাই ছিল তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া।" তিনি বলেন, এটা ওয়ান ইলেভেন থেকেই শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দলের বহু নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। "করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে যে চিকিৎসা তিনি এখানে নিচ্ছেন ,ডাক্তাররাই বলেছেন এই চিকিৎসা যথেষ্ট না। কারণ করোনা পরবর্তী যেসব জটিলতা এখন তার দেখা দিচ্ছে, এটা তার বয়স এবং তার যে রোগগুলো আছে সব মিলিয়ে যথেষ্ট ঝুঁকির সম্মুখীন আছেন তিনি। এবং তার জীবনও ঝুঁকির সম্মুখীন।" তিনি বলেন, "বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য সরকার আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" এখন দলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আমরা বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করিনি। তার পরিবার করেছে। এখনেও তার পরিবারই সিদ্ধান্ত নেবে।" আরো পড়তে পারেন: করোনামুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া, চলছে কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা যে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া সম্ভব খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও যেসব জটিলতা রয়েছে এর আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া। এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। | বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে তার পরিবারকে অনুমতি দেয়নি সরকার। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মি. সেশনস ছিলেন প্রথম সিনেটর যিনি ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিলেন সাবেক এই সিনেটরের সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। মি. ট্রাম্প টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, মি. সেশনস অস্থায়ীভাবে সরিয়ে তার স্থানে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হবে। বুধবার ঐ টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন "আমারা অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস কে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি একই সাথে তাঁর ভাল চায়"। তবে এই বরখাস্তের ঘটনা যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই ঘটেছে মোটেও তেমনটি নয়। কারণ এর পিছনে রয়েছে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বিচার বিভাগের তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন। আরও পড়তে পারেন: রাশিয়া পরমাণু চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি গর্বাচভের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য নিয়ে ট্রাম্পের প্রশ্ন 'মেয়েদের দেহে স্পর্শ দোষের কিছু না, এটা ট্রাম্প বলেছেন' তারিখবিহীন একটি পদত্যাগ পত্রে মি. সেশনস যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি সেটা স্পষ্ট ধরা পরেছে। আলাবামার সাবেক এই সিনেটর আগে ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি ঐ চিঠিতে লিখেছিলেন "প্রিয় মি প্রেসিডেন্ট আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগ পত্র জমা দিচ্ছি"। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন "সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখেছি"। মি. সেশনসের সাথে বিবাদের শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে থেকে দল ত্যাগ করাদের মধ্যে সর্বশেষ নাম যোগ হল সেশনসের। তখনই মি সেশনস রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল সেখান থেকে সরে আসেন। এবং এই দায়িত্ব তার অধীনস্ত রড রোজেনস্টেইনকে দেন। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্প মি. সেশনসের বিরুদ্ধে নানা ধরণের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকার ট্রাম্প বলেন "তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যাবেন এই কথা আমাকে আগে বললে আমি তাকে এই দায়িত্ব তাকে দিতাম না। আমি অন্য কাওকে এই কাজের জন্য নিতাম"। মি. সেশনস তদন্তভার থেকে সরে যাওয়ার পর বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের চলমান তদন্ত-প্রক্রিয়া নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। মি. মুলার প্রতিনিয়ত ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টসিয়াল ক্যাম্পেইন এবং মস্কোর মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা এমন তথ্য-প্রমান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরেই হয়ত জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আর সেটাই এখন সত্য হল। | যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বেলা ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বইমেলা চলবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এই মেলাকে শিল্প-কারখানা খোলা রাখার সঙ্গে তুলনা করছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ই এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সরকার। এই সময় সকল প্রকার পরিবহন, জরুরি সেবা ছাড়া অফিস, শপিংমল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। রবিবার দুপুরে সংসদ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, "করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এটি সামলাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।" আগে বয়স্করা সংক্রমিত হতো কিন্তু এখন তরুণ ও শিশুরা সবাই আক্রান্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে মানুষের কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু তারপরও জীবনটা অনেক বড়। জীবনটা আগে। মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে"। তিনি বক্তব্যে বিয়ে-শাদি, অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ, ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলা, পর্যটন ও অবাধে চলাফেরা বন্ধ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার মধ্যেই বইমেলার মতো একটি বড় আয়োজন খোলা থাকার সিদ্ধান্ত এলো। আরও পড়ুন: একুশের বইমেলায় ভিন্নমতের বই কতটা বেরুচ্ছে? একুশে বইমেলা: ভয়ের ছায়া এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় লেখক-প্রকাশকদের বাংলা একাডেমির ভার্চুয়াল বইমেলার সমালোচনায় প্রকাশক ও লেখকরা বইমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্তকে বাংলা একাডেমি শিল্প-কারখানা খোলা রাখার সঙ্গে তুলনা করছে। বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লকডাউনের মধ্যেও দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। সরকারের সিদ্ধান্ত, মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেটা কার্যকর করছি।'' তিনি বলেন, ''আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই বইমেলা খোলা রাখার চেষ্টা করছি। যেভাবে সরকার গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ও অন্যান্য শিল্প-কারখানা খোলা রাখছেন, সেইভাবে বইমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সরকারই নিয়েছে। আমরা শুধু সেটা এক্সিকিউট করছি।'' কিন্তু যেখানে লকডাউন চলার সময় সবাইকে ভোর ছয়টা থেকে বিকাল ছয়টা পর্যন্ত সবাইকে ঘরের ভেতর থাকার জন্য বলা হয়েছে, সেখানে বইমেলা খোলা থাকলেও বইমেলায় মানুষ কীভাবে আসবে জানতে চাইলে, বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক বলছেন, ''সেটা তো আমার পক্ষে বলা মুশকিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবং মন্ত্রণালয় ও সরকারের সিদ্ধান্ত, ১২টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।'' বাংলাদেশে প্রকাশনা জগতের বিক্রি-বেচার সবচেয়ে বড় অংশটি এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বইমেলা খোলা রাখার বিষয়ে প্রকাশকদের তরফ থেকে চাপ রয়েছে। এই কারণে লকডাউন থাকলেও বইমেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে বইমেলা চালু রাখতে প্রকাশকদের তরফ থেকে কোন চাপ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ। তিনি বলছেন, ''আমরা গতকাল জানতে চেয়েছিলাম, লকডাউনের মধ্যে মেলার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে? আমাদের বলা হয়েছে, নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ আমরা জানতে পেরেছি যে, মেলা চলবে। মেলা চালু থাকলে আমরাও যাবো।'' তবে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক রাজিয়া রহমান বলছেন, ''বাংলা একাডেমির এই সিদ্ধান্তে আমরা অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছি। লকডাউনের মধ্যে মানুষ কীভাবে আসবে, মেলা কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না। দেখি, আজ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করবো।'' করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এই বছর বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার প্রস্তাব উঠেছিল। তবে প্রকাশকদের দাবির মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বরে গত ১৮ই মার্চ ৩৭তম অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়। সেই সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বইমেলার উদ্বোধন করবেন তবে করোনা সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং মেলা স্থগিত হতে পারে। আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলবে। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি, যেসব বিধিনিষেধ দেয়া হলো 'সুয়েজ খাল আটকে যাওয়ার জন্য আমাকে দায়ী করা হয়েছিল' অবরুদ্ধ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে 'ছিনিয়ে নেয়' সমর্থকরা কায়রোতে হাজার বছরের প্রাচীন মিশরীয় রাজা রানির শোভাযাত্রা | বাংলাদেশে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলেও চালু থাকছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সিরাজ আলি সিরাজ আলির স্ত্রীকে গুলি করে মারা হয়, দুবছরের মেয়েকে আগুনে ফেলে দেওয়া হয় - আর সাত বছরের বড় মেয়ের দেহ পাঁচ দিন পরে পাওয়া গিয়েছিল। আরেক বাসিন্দা রমজান আলি তাঁর পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন। সন্দেহভাজন বোড়ো জঙ্গীদের আক্রমনে ডিসেম্বরের শেষে মারা গেছেন প্রায় সত্তর জন আদিবাসী নারী, পুরুষ আর শিশু। ওই আক্রমণের পর থেকে বাংলাভাষী মুসলমানদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে। আসামের বাংলাভাষী মুসলমানেরা সেই ১৯৫০ সাল থেকেই বারে বারে আক্রমনের মুখে পড়েছেন। সেই ভয়াবহ চরুয়া খেদা দাঙ্গায় একটি মুসলমান গ্রামেই আটশো মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা নিজের চোখে দেখেছেন গবেষক ভাস্কর নন্দী। আসামে আক্রমণে আহত একজন তাঁর কথায়, “দাঙ্গার আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ পূর্ব পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। নেহরু-লিয়াকত চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের ভারত ফেরত নেয় ঠিকই কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময়ে সঠিক নথিপত্র দেওয়া হয় নি। আর ওই শরণার্থীরা ফেরত আসার আগেই ১৯৫১ সালে আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা National Register of Citizenship (NRC) তৈরী হয়ে যায়। তাই বহু বাংলাভাষী মুসলমানেরই আর সেই NRC তে নাম ওঠে নি।“ আর সেই সুবাদে নয়ের দশক থেকে বহু বাংলাভাষী মুসলমানকেই সন্দেহজনক ভোটার বা D Voter, অর্থাৎ সন্দেহজনক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। আসাম চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে যাঁরা আসামে এসেছেন, তাঁদেরই বিদেশী বলে চিহ্নিত হওয়ার কথা। কিন্তু বরপেটার নারায়নগুড়ি গ্রামের এক প্রধান শিক্ষক আমজাদ আলি বলছিলেন, “বাবার ১৯৩৭ সালে আসামে ম্যাট্রিক পাশ করার সার্টিফিকেট থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে সন্দেহজনক ভোটার অর্থাৎ সন্দেহজনক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।“ সন্দেহজনক ভোটার বলে চিহ্নিত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ- বেশীরভাগই বাংলাভাষী মুসলমান। এই কথিত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বা বিদেশীদের ভারত ছাড়া করার কথা সবসময়েই বলে এসেছে উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলো। সেই দাবীকেই সামনে নিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নারাযণগুড়ি গ্রাম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বারে বারেই আসামে এসে বিদেশী চিহ্নিতকরণ আর বিতারণের হুমকি দিয়ে গেছেন। কিন্তু কে যে আসলে ভারতীয় বাংলাভাষী মুসলমান আর কে কথিত অনুপ্রবেশকারী তা জানার একমাত্র উপায় nrc যেটা হালনাগাদ করার কাজটাই গত ৬৫ বছরে করা হয় নি। রাজনৈতিক দলগুলো এ জন্য একে অপরকে দোষ দেয়। মুসলিম ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলামের কথায় এনআরসি হালনাগাদ হয়ে গেলে বিদেশী ইস্যুও থাকবে না, তখন বিভিন্ন দলের রাজনীতি চলবে কী করে! অক্টোবরের গোড়ায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে ঘটা একটা বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা যে কথিত জঙ্গী চক্রের সন্ধান পেয়েছেন, তারসঙ্গে এই বরপেটার কয়েকজন বাঙালী মুসলমানের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে দাবী তদন্তকারীদের। গ্রেপ্তারও হয়েছেন কয়েকজন, আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে সন্দেহ আর হেনস্থা। মুসলিম ছাত্র সংগঠন এ বি এম এস ইউ-র সভাপতি রফিকুল ইসলামের কথায়, আসামে বাংলাভাষী মুসলমান দেখলেই এখন জেহাদী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের আতঙ্কের আর অনিশ্চয়তা শেষের আশা তাই কেউই খুব একটা দেখতে পাচ্ছেন না, অন্তত অদূর ভবিষ্যতে। আর বিশ্লেষেকরা মনে করছেন, এই আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা আরও বেশীদিন চলতে থাকলে তার সুযোগ নিতেই পারে উগ্র ধর্মীয় চিন্তার রাজনীতি। আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের একটা বড় অংশেরও সেটাই ভয়। | যেদিন লোকসভা নির্বাচনে জিতে যেদিন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেন, তার কয়েকদিন আগেই আসামের বরপেটা জেলায় মানস অভয়ারণ্যের ধারে নঙ্কাই খাগরাবাড়ী গ্রামে বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপরে আক্রমণ ঘটেছিল। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ভারতে মি টু আন্দোলনকে গতি দিয়েছেন তনুশ্রী দত্ত বলিউডের আর এক অভিনেত্রী রাখী সাওয়ান্ত দিনকয়েক আগে মুম্বাইতে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ঘোষণা করেছেন, 'লেসবিয়ান' তনুশ্রী দত্ত না কি বছর বারো আগে তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছিলেন। তনুশ্রী দত্তকে শুধু সমকামীই নয়, মাদকাসক্ত বলেও বর্ণনা করেছেন রাখী। দাবি করেছেন, সে সময়কার 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' তনুশ্রী না কি তাকে বিভিন্ন রেভ পার্টিতে নিয়ে যেতেন ও জোর করে ড্রাগ নিতে বাধ্য করতেন। এই সব অভিযোগের জবাবে তনুশ্রীও এখন পাল্টা মুখ খুলে বলছেন, 'রাখী সাওয়ান্ত এমন একজন বুদ্ধু যে যৌনতা আর পয়সা ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না!' রাখীর সঙ্গে কোনও দিন তার বন্ধুত্ব ছিল না বলেও জানিয়েছেন তনুশ্রী। এই অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিয়ে ভারতের 'মি টু' আন্দোলনের জোয়ারকে প্রশমিত করার, বা এই আন্দোলনকে খেলো করে দেখানোর একটা চেষ্টা আছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তনুশ্রী দত্ত তাকে বহুবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ রাখী সাওয়ান্তের ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও এ সপ্তাহে একটি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে গিয়ে যেভাবে 'মি টু' আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনেছেন, সেটাকেও দেশের নারী অ্যাক্টিভিস্টরা ভাল চোখে দেখেননি। দেশের শীর্ষ আইনজীবীরাও অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, 'মি টু' আন্দোলনের রেশ ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক যে সব অভিযোগ আসছে তার বেশির ভাগই আদালতে প্রমাণ করা খুব কঠিন, হয়তো অসম্ভব। এই বিতর্কের মধ্যে রাখী সাওয়ান্তের অভিযোগ নিয়েই বোধহয় এখন সব চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে - কারণ তিনি আঙুল তুলেছেন এমন একজনের বিরুদ্ধে, যার হাত ধরে ভারতে 'মি টু' কয়েক সপ্তাহ আগে কার্যত পুনর্জন্ম পেয়েছে। বলিউডের 'ব্যাড গার্ল' বলে পরিচিত রাখী দাবি করেছেন, তনুশ্রী দত্ত নিজে এখন যৌন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করলেও তার নিজের রেকর্ডও মোটেও সুবিধের নয়। "ভেতরে ভেতরে তনুশ্রী দত্ত একজন পুরুষ - আর তার হাতে আমাকে বহুবার ধর্ষিতা হতে হয়েছিল" সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি এই অভিযোগই করেছেন রাখী। সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি তবে রাখী যেভাবে ও যে ভঙ্গীতে এই অভিযোগ তুলেছেন, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। ভারতে 'দ্য হাফিংটন পোস্টে'র সাবেক সহ-সম্পাদক ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি 'মি টু' আন্দোলনে মুখ খোলা বহু নারীর অভিযোগ সংকলন করছেন, তাদের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরার কাজ করছেন। মিস চ্যাটার্জি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "রাখী সাওয়ান্তও একজন নারী - তার তোলা অভিযোগ নিয়েও আমাদের একই ধরনের সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতা দেখানো উচিত।" "কিন্তু যেভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ভঙ্গীতে হাসতে হাসতে, যেন কোনও মজার কথা বলছেন এভাবে তিনি অভিযোগগুলো পেশ করেছেন তাতে আমি অন্তত বেশ অবাক হয়েছি।" "আর মনে রাখতে হবে, তিনি কিন্তু তনুশ্রী দত্তর বিরুদ্ধে খুব মারাত্মক অভিযোগ করেছেন - সেটা বার বার ধর্ষণ করার। এই অভিযোগ নিয়ে তখন না-হোক, এখন তার অবশ্যই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল!" মি টু আন্দোলনকে খেলো করার অভিযোগ উঠেছে রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধেও এদিকে রাখী সাওয়ান্তের অভিযোগের জবাব দিতে তনুশ্রী দত্ত এখন নিজেই এগিয়ে এসেছেন। দাবি করেছেন, ২০০৯ সালে একটি এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে দেখা হওয়া ছাড়া রাখী সাওয়ান্তের সঙ্গে তার কোনওদিন কোনও মোলাকাতই হয়নি। "আমার বাবা-মা আমাকে সব সময় খুব সাবধানে বন্ধু বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিতেন, তাদের সেই কথা আমি আজও মেনে চলি।" "ফলে যখন রাখী সাওয়ান্তের মতো আনকুথ, আনএডুকেটেড, ডার্টি, ডাউনমার্কেট, ক্লাসলেস, ক্যারেক্টারলেস, পার্ভার্টেড, ডিগ্রেডেড অ্যাবোমিনেশনস আমার বন্ধু হওয়ার দাবি করে, সেটা অত্যন্ত বিরক্তিকর।" তনুশ্রী আরও দাবি করেছেন তিনি নিজের মাথা কামিয়েছিলেন বলেই তাকে 'সমকামী' বলার চেষ্টা করা হয়েছে। "অথচ হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মেই দীক্ষা নেওয়ার সময় মাথা কামানোর রীতি আছে, সুতরাং রাখী আমাকে সমকামী বলে ধর্মকেও অপমান করেছেন!" মি টু-তে অভিযুক্ত ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী যতীন দাস তনুশ্রী দত্তকে এই বিবৃতি দিয়ে যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনে এগিয়ে আসতে হয়েছে, সেটাকেই অনেকে 'মি টু' আন্দোলনের জন্য একটা ভুল বার্তা হিসেবে দেখছেন। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং দিনদুয়েক আগে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, "বিরোধী দলগুলো যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তাহলে তাদের সঙ্গেও নির্ঘাত বেইমানি করা হবে - তখন তাদেরও কিন্তু 'মি টু' আন্দোলনের মতো নালিশ করে বলতে হবে আমাদের সঙ্গে কংগ্রেস অন্যায় করেছে।" 'মি টু' আন্দোলনকে নিয়ে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক মশকরা অনেকেই ভালভাবে নেননি। অথচ দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন শোষণের প্রতিকার কোন পথে হতে পারে, তা নির্ধারণের জন্য যে মন্ত্রিগোষ্ঠী কাজ করছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজেই তার প্রধান। সাংবাদিক সুতপা পাল, যিনি সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো নারী সাংবাদিকদের অন্যতম, তিনি রাজনাথ সিংয়ের ওই মন্তব্যকে 'চরম হতাশাজনক' বলে বর্ণনা করেছেন। তনুশ্রী দত্তর মূল অভিযোগ ছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে ভারতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিজন ঘোষও বিবিসিকে বলছেন, 'মি টু'-র রেশ ধরে ভারতে যে সব অভিযোগ আসছে আইনের চোখে তার প্রায় সবগুলোই 'তামাদি' বলে তিনি মনে করেন। "আমি মনে করি ভারতে 'মি টু' একটা নেতিবাচক আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে। আর বেশির ভাগই এত পুরনো ঘটনার কথা বলা হচ্ছে যেগুলো আদালতে কিছুই দাঁড় করানো যাবে না", বলছেন তিনি। এই পটভূমিতেও কিন্তু ভারতে 'মি টু' আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশ হতে রাজি নন ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জির মতো অ্যাক্টিভিস্টরা। "একজন রাখী সাওয়ান্ত বা একজন রাজনাথ সিং কী বলছেন তাতে 'মি টু' আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।" "বরং আমি এটা দেখেই আশাবাদী হতে চাই যে গত কালও 'মি টু'-তে অভিযুক্ত প্রভাবশালী অ্যাড গুরু সুহেইল শেঠের সঙ্গে টাটা সনস তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, চুক্তি বাতিল করেছে কোকা কোলাও", বিবিসিকে বলছিলেন মিস চ্যাটার্জি। মি টু-তে অভিযুক্ত এম জে আকবর মানহানির মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টে ভারতে 'মি টু' নিয়ে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই আগামিকাল বুধবার ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও এক কালের ডাকসাইটে সম্পাদক এম জে আকবর তার 'মি টু' মানহানির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য পেশ করবেন। একের পর এক নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনার পর মি আকবর দিনকয়েক আগে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। তবে তার আগে তিনি প্রথম অভিযোগকারিণী, সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও ঠুকে দেন - যে মামলায় শতাধিক আইনজীবী মি আকবরের হয়ে লড়ছেন। ভারতে 'মি টু' আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায়, তা অনেকটাই এই মামলার ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। | ভারতে সম্প্রতি 'মি টু' আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে বলিউডের যে সাবেক অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর তোলা অভিযোগকে কেন্দ্র করে - তাকে এখন সোজাসুজি 'সমকামী' ও 'ধর্ষণকারী' বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ আরও ২০ বছর বাড়ানো হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদে এখন ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখার বিধান রয়েছে এবং আগামী বছর জানুয়ারিতে এ বিধানের মেয়াদ শেষ হবে। মন্ত্রীসভার অনুমোদন পাওয়ার পর এখন প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করবে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে সংসদে অনুমোদনের পর একাদশ সংসদ থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ানোর নতুন প্রস্তাব কার্যকর হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজন দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, যা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের রয়েছে। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু বিবিসিকে বলেছেন বর্তমান সংসদের শেষে নারী আসনের কার্যকারিতা থাকবেনা। সে কারণেই সপ্তদশ সংশোধনী এনে ৫০ জন নারী সদস্য নির্বাচনের বিধান করতে হবে। তিনি আরও বলেন সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদ গঠিত হবে ৩০০ সরাসরি নির্বাচিত সদস্য ও ৫০ জন নারী সদস্যকে নিয়ে। সে কারণেই এটা করতে হবে। নাহলে এটা পূর্ণাঙ্গ সংসদ হবেনা। আরও পড়ুন 'আমার স্ত্রী এখন আর গোসলই করেনা' আইপিএল নিলামের বিস্ময় কে এই নেপালি তরুণ? ‘যখন বুঝতে পারলাম আমার বিয়ে হয়েছে এক নপুংসকের সঙ্গে’ বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে সংসদে নারী আসনের তথ্য - উপাত্ত: প্রথম সংসদে (১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত) মহিলা আসন ছিলো ১৫টি দ্বিতীয় সংসদে (১৯৭৯ সালের নির্বাচনে গঠিত) মহিলা আসন ছিলো ৩০টি তৃতীয় সংসদে (১৯৮৬ সালের নির্বাচনে গঠিত) মহিলা আসন ছিলো ৩০টি চতুর্থ সংসদে (১৯৮৮ সালের নির্বাচনে গঠিত) মহিলা আসন ছিলোনা আইনের মেয়াদ শেষের কারনে পঞ্চম সংসদে (১৯৯১ সালের নির্বাচনে গঠিত) আইন পাশ হওয়ায় আবার ৩০ টি সংরক্ষিত মহিলা আসন ফিরে আসে ষষ্ঠ সংসদে (১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী) সংরক্ষিত আসন ছিলো ৩০টি সপ্তম সংসদে (১৯৯৬ সালের ১২ই জুন) নারীদের সংরক্ষিত আসন ছিলো ৩০টি অষ্টম সংসদে (২০০১ সালের নির্বাচনে গঠিত) শুরুতে সংরক্ষিত আসন ছিলোনা আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায়। ২০০৪ সালে চতুর্দশ সংশোধনীতে আসন ৩০টি থেকে বেড়ে ৪৫ টি করা হয় নবম সংসদ নির্বাচনে (২০০৮) সংরক্ষিত আসন ৪৫টি ৩ রা জুলাই ২০১১ তারিখে পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী সংরক্ষিত আসন ৫০টি দশম সংসদ নির্বাচনে (২০১৪ নির্বাচন) সংরক্ষিত আসন ৫০টি। | বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। কিন্তু ই-সিগারেট আসলে কতটা নিরাপদ? ই-সিগারেট কীভাবে কাজ করে? এই সিগারেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী মিশ্রিত থাকে। কিন্তু তামাকের ভেতর থাকা অনেক বিষাক্ত রাসায়নিকের তুলনায় (যেমন টার এবং কার্বন মনোক্সাইড) নিকোটিন তুলনামূলক কম ক্ষতি করে। নিকোটিনের কারণে ক্যান্সার হয় না, কিন্তু সাধারণ সিগারেটে ভেতরে থাকা তামাকের কারণে ক্যান্সার হতে পারে- যার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এ কারণেই ধূমপান বন্ধ করতে নিকোটিন গ্রহণের মাধ্যম পরিবর্তনের জন্য অনেক বছর ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে গাম, স্কিন প্যাচেস বা মুখে স্প্রে করা। আরো পড়ুন: 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' চিকিৎসকের দৃষ্টিতে ধূমপান ছাড়ার ১০টি সহজ উপায় 'মানুষকে ধূমপান, মদ ও মাংস খেতে দিন' দীর্ঘ সময় কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে -গবেষণা যুক্তরাজ্যের এমপিদের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামাকের বা সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট অনেক কম ক্ষতিকর। এতে কী কোন ঝুঁকি আছে? চিকিৎসক, স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ, ক্যান্সার নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা বা যুক্তরাজ্যের সরকার, সবাই একমত হয়েছে যে, বর্তমানে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট সামান্যই ঝুঁকি বহন করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় এভাবে ধোঁয়া নেয়া ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এগুলো পুরোপুরি ঝুঁকি মুক্ত। ই-সিগারেটের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ এবং ধোঁয়া অনেক সময় এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক বহন করতে পারে, যা সাধারণ সিগারেটের ভেতরেও থাকে। তবে এর মাত্রা অনেক কম। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা এর আগে ছোট কয়েকটি পরীক্ষায় দেখেছেন, এ ধরণের ধোঁয়া গ্রহণ বা ভ্যাপিং শরীরের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে পারে। সুতরাং এভাবে ভ্যাপিং বা ধোঁয়া গ্রহণে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না, এটা এখনি বলা যাবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা একমত যে, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেটে ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম। ই-সিগারেট কি অন্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ? এরকম ধোঁয়া অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমন কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। প্রচলিত সিগারেটের ধোঁয়ায় আশেপাশের মানুষ যতটা ক্ষতির শিকার হয়, সে তুলনায় ই-সিগারেটের ক্ষতি তেমন একটা হিসাবের মধ্যে পড়ে না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'চিৎকার করেছি, সবাইকে বলেছি - ওরে বাঁচান' 'ঢাকায় ৩০% রিকশাচালকই জন্ডিসে আক্রান্ত' পাকিস্তান কি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ? ভারতে নারী এমপির বক্তব্যে সরগরম সামাজিক মাধ্যম ই-সিগারেট নিয়েও বিতর্ক রয়েছে ই-সিগারেট নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘসময় ধরে বিতর্ক চলছে। স্কটল্যান্ডে এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণদের অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করে পরে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব কী পড়তে পারে, সে ব্যাপারে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও এখন উঠছে। ই-সিগারেটে কী থাকবে, তা নিয়ে কি কোন আইন আছে? ই-সিগারেটের ভেতর কী থাকবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় যুক্তরাজ্যের আইন অনেক কড়া। যুক্তরাজ্যের ই-সিগারেটে কতটুকু নিকোটিন থাকবে, তার সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে নেই। ১৮ বছরের কারো কাছে এ ধরণের সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে অনেকটা একই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে কানাডা ও নিউজিল্যান্ডে। | যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসাবে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে সানফ্রানসিসকো। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কুয়েত স্বাস্থ্য দপ্তরে ঢোকার আগে ভিজিটরদের করোভাইরাসের উপসর্গ পরীক্ষা করা হচ্ছে এজন্য কুয়েতগামী যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট এবং ওয়ার্ক-অর্ডার অর্থাৎ কার্যাদেশের কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক বৈঠকে রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথে সেন্টার খোলা হচ্ছে। "তারাই মূল দায়িত্ব পালন করবে। এক্ষেত্রে কুয়েতগামী যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট এবং ওয়ার্ক-অর্ডার অর্থাৎ কার্যাদেশের কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে।" "আমরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় দেখবো তাদের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ আছে কিনা, তারা কতদিন আগে এসেছে দেশে এবং ১৪দিন পার হলে ঐ সময়ের মধ্যে কোন উপসর্গ দেখা গেছে কিনা, যদি না দেখা যায় এবং সে সুস্থ থাকে তাহলে আমরা ধরে নেব, সে করোনাভাইরাস মুক্ত।" ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথে চারটি বুথ খোলা হবে, এর মধ্যে একটি থাকবে নারী শ্রমিকদের জন্য। তবে, অধ্যাপক তাহমিনা জানিয়েছেন, কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা বোঝার জন্য বিশ্বব্যাপী যে পরীক্ষা চালানো হয় অর্থাৎ রক্ত বা লালার পিসিআর মানে পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন পরীক্ষা, সে পদ্ধতিতে সবার পরীক্ষা করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। "কারণ এই পরীক্ষা অল্প সময়ে এত বেশি মানুষকে করা মুশকিল হবে। তাছাড়া এটি নতুন একটি ভাইরাস, এখনো এটি শনাক্তের জন্য যে 'ডায়াগনস্টিক কিট' বাংলাদেশে এসেছে তা এখনো খুবই অল্প পরিমাণে আছে দেশে। " যে কারণে এখন সরকার পরিকল্পনা করছে যে তারা কুয়েত সরকারকে অনুরোধ জানাবে যাতে পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই যেন বাংলাদেশের শ্রমিকদের কুয়েতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। কুয়েত সিটিতে মাস্ক পরে দুই দোকানি নিষেধাজ্ঞা ৩রা মার্চ কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে কুয়েতে যাবার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ দেখাতে হবে। সেটি কার্যকর হবে ৮ই মার্চ থেকে। এছাড়া কুয়েত সরকারের ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ সাথে না আনলে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের কর্মীদের কুয়েতে ঢুকতে দেয়া হবে না এবং একই বিমানে সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে কুয়েত সরকার কোন খরচ বহন করবে না। কুয়েত বিমানবন্দের মাস্ক পরিহিত ইমিগ্রেশন কর্মী বিপদে বিভ্রান্ত শ্রমিকেরা হঠাৎ এমন ঘোষণায় কুয়েত থেকে দেশে ছুটি কাটাতে এসে ফিরে যাবেন এমন শ্রমিকেরা বিপদে পড়েছেন। কোথায় পরীক্ষা করানো যাবে, কোথা থেকে সনদ পাওয়া যাবে---এমন ভাবনায় দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআরে ভিড় করেন বহু শ্রমিক। কারণ বাংলাদেশে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, সেটি পরীক্ষা করে কেবলমাত্র আইইডিসিআর। যে কারণে তড়িঘড়ি ঢাকায় এসে কুয়েত দূতাবাসে যোগাযোগ করেও কোথায় পরীক্ষা করতে হবে আর কোথা থেকে সনদ পাওয়া যাবে সে বিষয়ে যথাযথ জবাব পাননি শ্রমিকেরা। এই মূহুর্তে কুয়েতে বাংলাদেশের দুই লক্ষের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। | বাংলাদেশ থেকে কুয়েতগামী প্রবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ৭ই মার্চ থেকে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে শুরু হবে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | লকডাউনের কারণে ভারতে দরিদ্র মানুষের জীবন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের ভয় দেরি হলে যদি ফুরিয়ে যায়! এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও কাঁচাবাজার পৌঁছানোই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারগুলোতে কোনোভাবে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাচ্ছে ঠিকই, তবে তা মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই - কারণ শহরে যান চলাচল বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী মোদী সারা ভারতে এবং তারও আগে রবিবার বিকেলে যখন পশ্চিমবঙ্গের অনেকগুলি শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী - দুজনেই আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন যে মুদি দোকান বা সবজি বাজার খোলা থাকবে - তাই খাদ্য দ্রব্যের অভাব হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অনেক দোকানেই পণ্য শেষ হতে শুরু করেছে - বাজারগুলিতে সবজি কম - যেটুকু থাকছে, তার দামও অনেক বেশি। কলকাতার বৃহত্তম পাইকারি বাজার - কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান কমল দে বলছিলেন সমস্যাটা কোথায়। "এক তো ট্রেন বন্ধ, তাই ট্রাকে করে গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের অনেক বাড়তি খরচ করে শহরের পাইকারি বাজারে কৃষিপণ্য নিয়ে আসতে হচ্ছে। সেজন্য দাম তো বাড়ছেই। তাও কিন্তু তারা নিয়ে আসছেন বাজারে। সমস্যাটা হয়ে যাচ্ছে শহরের বাজারগুলোতে সেই সবজি পৌঁছানো।" বাংলাদেশে 'কম্যুনিটি সংক্রমণ' শুরু, পঞ্চম ব্যক্তির মৃত্যু ভারতে টোটাল লকডাউনের প্রথম কয়েকটা ঘণ্টা যেমন কাটলো লকডাউন করা হল বান্দরবানের তিন উপজেলা করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কেন ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করতে চান ট্রাম্প? করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব কেন ও কীভাবে বজায় রাখবেন? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জেলখানায়, বহু দেশ বন্দী ছেড়ে দিচেছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত "লকডাউনের ফলে ছোট ট্রাকে করে খুচরো বাজারের যেসব দোকানি আসতেন, তারা আসতে পারছেন না। কিছু মানুষ আসছেন ভোর রাতের দিকে, সামান্য কিছু কিনে তারা ফিরে যাচ্ছেন। অথচ পাইকারি বাজারে সবজি পরে থাকছে," ব্যাখ্যা করছিলেন মি. দে। সবজির পাইকারি বাজার থেকে যেমন স্থানীয় বাজার বা খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে আনাজপত্র পৌঁছানো একটা সমস্যা, তেমনই অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পৌঁছানো যাচ্ছে না ঠিক মতো। কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে আন্তঃরাজ্য পরিবহন বন্ধ থাকার ফলে অন্যান্য রাজ্য থেকে জিনিস আসতে পারছে না ট্রাকে করে। এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার - কলকাতার পোস্তা বাজারের মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি সীতানাথ ঘোষ বলছিলেন, "এখন ট্রাক আসতে শুরু করেছে। কিন্তু রাজ্যের মধ্যেই পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় পোস্তা বাজারে যথেষ্ট জিনিস মজুত থাকা সত্ত্বেও খুচরো দোকানদারদের কাছে সেগুলো পৌঁছানো যাচ্ছে না।" "লকডাউনটাও জরুরী। কীভাবে যে সরবরাহ ব্যবস্থা মসৃণ করা যায়, সে ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনও দিশা নেই। এরকম চলতে থাকলে একটা সঙ্কট তো হবেই," বলছিলেন সীতানাথ ঘোষ। এতো গেল যাদের হাতে কিছুটা অর্থ আছে, সেইসব শহুরে মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে সমস্যার কথা। কিন্তু এর বাইরে ভারতের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ - যারা দিন আনেন দিনে খান, অর্থাৎ রিকশা বা ভ্যান চালক, গৃহকর্মী, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক - তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। লকডাউনের জেরে তারা কাজ করতে পারছেন না, এমন কি ট্রেন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে শহর বা শহরতলিতে আসতেই পারছেন না। এদের হাতে সঞ্চয়ও তেমন থাকে না, যা দিয়ে একসঙ্গে অনেক দিনের খাবার মজুত করতে পারবেন। মুম্বাই শহরে বহু মানুষ জিনিসপত্র কিনতে দোকানের সামনে ভিড় করেছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি রিকশা ইউনিয়নের নেতা সুশান্ত দেবনাথ বলছিলেন, "শহরে যারা রিকশা বা ভ্যান চালাতে আসেন, তাদের একটা বড় অংশই গ্রামে কাজ না পেয়ে চলে আসেন।" "এখন ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তারা আসতেও পারছেন না, আবার ওদিকে লকডাউন। আমরা জানি না এরা কীভাবে বেঁচে থাকবেন যদি না সরকার অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করে। হয়তো করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বেঁচে যাবেন এরা, কিন্তু অনাহারেই তো মারা যাবেন অনেকে।" খাবার ছাড়াও বহু মানুষের প্রয়োজন চিকিৎসার। ওষুধের দোকান খোলা রাখা হচ্ছে ঠিকই শহরে, কিন্তু গ্রামের দিকে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিতে যারা আক্রান্ত, তারা নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে শহরে আসবেন কীভাবে, সেটা নিয়ে চিন্তায় আছে অনেকে। আবার জীবনদায়ী ওষুধ তারা যোগাড়ই বা করবেন কীভাবে গ্রামে বসে। সেটা তাদের একটা দুশ্চিন্তা। সরকার এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনা ঘোষণা করে নি। তবে আজ মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দারিদ্র সীমার নীচে থাকা ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিমাসে সাত কেজি গম দু'টাকা দরে আর তিনটাকা কিলো দরে চাল দেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের জন্য এই ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য মাসিক এক হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। | করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতে মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে যে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শহরাঞ্চলের বহু মানুষ শপিং মল বা পাড়ার দোকানগুলিতে ভিড় করে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসও কিনে নিচ্ছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকায় যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি কিন্তু ঢাকার মত শহরে এরকম ধারণা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব? ঢাকার সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর একটা অংশ সাময়িকভাবে বন্ধ করে শনিবার নানা ধরণের আয়োজন করা হয়েছিল ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ডে বা গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে। নানা আকৃতি ও রংয়ের বেলুন, পোস্টার, ব্যানারে সাজানো হয়েছিল সংসদ ভবনের সামনের রাস্তা। বিভিন্ন শিশু সংগঠনের সদস্যরা নাচ, গান, ছবি আঁকা - এমন অনেক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেন। তবে পুরো আয়োজনটিকে লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা বললে খুব একটা ভুল হবে না, কারণ অন্যান্য দিনের তুলনায় ঢাকার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কোনো অংশে কম ছিল না। গণপরিবহন ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সাইকেল চালানো বা হাঁটার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সত্তরের দশক থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয় গাড়িমুক্ত দিবস। ঢাকায় কেন গণপরিবহন ব্যবহার করতে চায় না মানুষ? ঢাকার মত শহরে গণপরিবহণ ব্যবহারে বা পায়ে হেঁটে পথ চলায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাটা কতটা বাস্তবসম্মত? ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত নুসরাত আমিন বলেন, "ঢাকায় গণপরিবহনের অবস্থা এমন যে মানুষ বাধ্য না হলে গণপরিবহন ব্যবহার করে না।" নারী হিসেবে ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবহার করা বা রাস্তায় হেঁটে চলাচল করাও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেন মিজ. আমিন। "হাঁটাপথে আমার বাসা থেকে অফিস যেতে ২০ মিনিট লাগে। কিন্তু ঐটুকু হাঁটার মধ্যে পথের মানুষের কাছ থেকে যত ধরণের বাজে মন্তব্য শুনতে হয় এবং নিজেকে রক্ষা করে সতর্কতার সাথে চলতে হয়, তাতে আর পরদিন হাঁটার ইচ্ছাটা অবশিষ্ট থাকে না", বলেন মিজ. আমিন। এছাড়া নারী হিসেবে সন্ধ্যার পর রাস্তায় হেঁটে চলাচল করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন বলেও জানান মিজ. নুসরাত আমিন। ঢাকার গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে আরও পড়তে পারেন: 'মানসিক চাপ' সামলাতে ঢাকায় কী ব্যবস্থা আছে? ড. কামালের রাজনৈতিক ঐক্য প্রক্রিয়া: বিএনপির কী লাভ? 'আমি হাউজ হাজবেন্ড, অন্য লোকের সমস্যা কেন?' 'গণপরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিকতারও পরিবর্তন' বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু গণপরিবহণ ব্যবস্থা পরিবর্তন ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঢাকার মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমানো সম্ভব নয়, কাজ করতে হবে নাগরিকদের মানসিকতা পরিবর্তনে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক শাম্মী আকতার মনে করেন গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি কম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ। "শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হলে মানুষ ধীরে ধীরে গণপরিবহন ব্যবহার শুরু করবে এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কম হবে", বলেন মিজ.আক্তার। বেশি পরিমাণ গাড়ি বিক্রি হওয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নির্দেশক - এই বক্তব্যের বিপরীতে মিজ আক্তার বলেন সামাজিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। "যে শহরে প্রতিদিন অসংখ্য কর্মঘন্টা নষ্ট হয় ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে, বায়ুদূষণে হাজার হাজার মানুষ মারা যায় এবং শেষপর্যন্ত কাজেও সময়মতো যাওয়া যায় না - সেখানে শুধু অর্থনৈতিক দিকটা বিবেচনা করে প্রবৃদ্ধি হিসাব করা উচিত নয়।" সচেতনতা তৈরি ও প্রচারণার পাশাপাশি, গাড়ি আমাদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে বা জ্বালানির মূল্য বাড়িয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মিস আক্তার। | পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত দিক মাথায় রেখে 'কার ফ্রি ডে' বা ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ধারণা শুরু হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থায় আগ্রহী করা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, "এতে কোন সন্দেহ নেই যে সে বাংলাদেশের নাগরিক। তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আরও বড়। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।" তিনি আরও বলেছেন, "সেখানে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে। আমাকে তাদের চিন্তা করতে হবে। একজন ব্যক্তি কী করলো, কেন করলো সে নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন তুলছি না। তার বিষয়টি এখানে অনেক পরের দিকে আসে।" বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার মালয়েশিয়া। সরকারি হিসেবে মালয়েশিয়াতে ছয় লাখের মতো নিবন্ধিত শ্রমিক রয়েছে। এর বাইরে বেশ বড় সংখ্যায় অনিবন্ধিত শ্রমিকও রয়েছে। বাংলাদেশের সরকার রায়হান কবিরের ব্যাপারে কোন অবস্থান নিয়ে এই শ্রম বাজারকে ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না, মন্ত্রীর কথায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেলো। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাদের নাগরিকেরা বিদেশে কোন আইনি জটিলতায় জড়িয়ে গেলে তাকে সহায়তা দিয়ে থাকে। রায়হান কবিরকে যখন গ্রেফতার করা হলো। আরো পড়ুন: 'স্পষ্টভাষী' রায়হান কবিরকে মুক্তি দেয়ার আহবান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মালয়েশিয়ায় শ্রমিক দূর্ভোগ নিয়ে মন্তব্য করে আটক রায়হান কবির মালয়েশিয়ায় খাদ্য সঙ্কটে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এমনকি কোন ফৌজদারি অপরাধ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করার নজিরও রয়েছে। সৌদি আরবে কর্মরত ফিলিপিন্সের একজন গৃহকর্মী তার চাকুরীদাতাকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যু দণ্ডাদেশ পেয়েছিলেন। এরপর ফিলিপিনো সরকার তাকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে সহায়তা সহ জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালিয়েছিল। রায়হান কবিরের ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। তার ব্যাপারে ঠিক কি করা হচ্ছে তা নিয়ে গ্রেফতারের পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোন বক্তব্য আসেনি। মালয়েশিয়াতে অভিবাসী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের বিষয়ে আল জাজিরা টেলিভিশনের একটি তথ্য চিত্রে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর তাকে গত ২৪শে জুলাই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার পর তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার সাক্ষাৎকারের জন্য মালয়েশিয়ার সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন মি. কবির। তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেও অনেকে মন্তব্য পোস্ট করেছেন। মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা তার গ্রেফতারের পর দেশটির সরকারের সমালোচনা করেছে। রায়হান কবিরকে 'স্পষ্টভাষী' উল্লেখ করে তাকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ঢাকাতেও অভিবাসীদের সংগঠন এবং অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এরকম ৬৪ টি সংগঠন বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। | মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি অভিবাসী রায়হান কবিরের ব্যাপারে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, তারা দেশের স্বার্থ দেখছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি সীমান্তের রেল সংযোগ চালু করার কাজ চলছে প্রায় ৫৫ বছর পরে সেই পথ আবার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যেকার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ব্রডগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, গত ২১ শে সেপ্টেম্বর ওই রেলপথের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রেলপথ আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ করা হবে। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভারত তাদের দেশের ভেতরের রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হলেই রেল চলাচল শুরু করা যাবে। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হলে ভারত ও বাংলাদেশের মূল রেলপথের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হবে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আবার ভারতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় অংশে কাজ শুরু হলেও, একটু দেরিতে শুরু হয় বাংলাদেশ অংশের কাজ। ২১শে সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের সময় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেছেন, একসময় দার্জিলিং মেইল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে আসা রেল, রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, ভারতের হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে চলাচল করতো। সেটার আদলেই এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হবে। এর ফলে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা একটি রেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌঁছাবে। এভাবে যাতায়াতের ফলে ভারতের রেলে যাত্রাপথ অন্তত ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫৩৭ কিলোমিটার। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হলে ভারত ও বাংলাদেশের মূল রেলপথের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হবে। ২০২০ সালের জুলাই মাস নাগাদ এই পথে রেল যোগাযোগ চালু করতে চায় দুই দেশের সরকার। আরো পড়ুন: ছুটন্ত ট্রেনের সঙ্গে 'সেলফি' তুলতে গিয়ে যা ঘটলো 'পাথর লাগলো কপালে, জখম অবস্থায় বাসায় আসলাম' ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ঠেকানোর পথ খুঁজছে রেলওয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই রেলপথ চালু হলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে সহায়ক হবে বাংলাদেশের কী লাভ? বাংলাদেশের রেলওয়ের কর্মকর্তা খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলছেন, রেলপথটি বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের রেলই ব্যবহার করবে। ভারতের রেল যেমন এই পথ ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যাবে, তেমনি বাংলাদেশের রেলও পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে। তিনি বলছেন, যেভাবে এখন খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগ রয়েছে, এটিও তেমন একটি রেল যোগাযোগ হবে। কিন্তু এই রেলপথে বাংলাদেশের স্বার্থ একটু সুদূরপ্রসারী বলে তিনি বলছেন। মি. ইসলাম বলছেন, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে চায়। এখন সেটা সড়ক পথে করতে হচ্ছে, যার খরচও বেশি। কিন্তু এই রেলপথটি চালু হয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে যুক্ত হলে, আমাদের রেল পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যেতে পারবে। ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও এই পথে আমদানি রপ্তানি করা যাবে। ''শিলিগুড়ির সেখানকার আশেপাশের এলাকার সঙ্গও সংযোগ তৈরি হবে, যেখান থেকে পাথরসহ অনেক দ্রব্য বাংলাদেশে আমদানি হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। রেলপথের কারণে আমাদেরও অনেক সুযোগ তৈরি হবে।'' ফলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল চলাচলে তারা যেমন সুবিধা পাবে, তেমনি ভারতের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্যের নতুন সুযোগ তৈরি হবে বলে তিনি বলছেন। তিনি জানাচ্ছেন, হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি আসার পর রেল যেমন আবার ভারতে চলে যেতে পারবে, তেমনি সেখান থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে যোগাযোগ থাকবে। ফলে মোংলায় জাহাজের পণ্য শিলিগুড়ি, সিকিম বা ভারতের উত্তর এলাকায় যেমন যেতে পারবে, তেমনি নেপাল ও ভুটানও বন্দর ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবে। ''এখানে থাকা সার্কের দেশগুলো এই রেলপথ ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানিতে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে, যার ফলে আর্থিক লাভ হবে বাংলাদেশের।'' বলছেন মি. ইসলাম। সড়ক পথের তুলনায় রেলপথে যোগাযোগ তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল পণ্যবাহী নাকি যাত্রীবাহী? কর্মকর্তারা বলছেন, কোন প্রক্রিয়ায়, কী ধরণের রেল চলাচল করবে, সেটা চূড়ান্ত হবে আরো আলোচনার পরে। আপাতত পণ্যবাহী রেল যোগাযোগের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলছেন, ''ভারতীয় রেল ও বাংলাদেশের রেলের মধ্যে কি ধরণের ট্রাফিক হবে, সেটা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। '' ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে রেল চলাচল শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। মি. ইসলাম বলছেন, পটুয়াখালী পায়রা বন্দরের সঙ্গেও রেল যোগাযোগ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা ব্রিজ হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেলে সংযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যতে এই রেলের সঙ্গে পায়রা বন্দর সংযুক্ত করার আশাও তারা করছেন। তুলনামূলক সস্তা ও নিরাপদ বাহন হওয়ায় অনেক মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন বন্ধ রেলপথ পুনরায় চালু বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলছেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে থাকা অন্য রেলপথগুলোও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে দুই দেশের সরকারের। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি রেল সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে এখন তিনটি চালু রয়েছে। মি. ইসলাম বলছেন, বুড়িমারি-বাংলাবান্ধা, সিলেটের শাহবাজপুরের কুলাউড়া-মহিসাসন, ফেনী থেকে বেলুনিয়া রেলপথ ভারতের ঋণ সহায়তায় আর আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ ভারতের অর্থায়নে নির্মাণ কাজ চলছে। ভারত আশা করছে, আগরতলা থেকে আখাউড়ার মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ সংযোগ তৈরি করা গেলে, আগরতলা থেকে কলকাতায় সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু করা যাবে। রেল পথ নির্মাণের খরচ নীলফামারীর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যয়ের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। | কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে খানিকটা পথ অতিক্রম করার পরে আবার ভারতে প্রবেশ করতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ডাকসু নির্বাচনের আগের দিন টিএসসি এলাকার চিত্র। নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছেন। এত দীর্ঘ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে এবং সেই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে এটা তাদের জন্য বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাপার বলে মনে হয়েছে। বিবিসি'র সাথে আলাপকালে শিক্ষার্থীদের বেশ আগ্রহী মনে হলে। এক শিক্ষার্থী জানালেন, "ডাকসুটা খুব প্রয়োজন আমাদের জন্য। প্রশাসনকে চাপের রাখার জন্য ডাকসুটা প্রয়োজন আমাদের।" "এতদিন যখন বহিরাগত হিসেবে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতাম তখন দেখতাম বিভিন্ন দেয়ালে লেখা ডাকসু নির্বাচন চায়, ডাকসু নির্বাচন চায়," বলেন আরেকজন। "কিন্তু এখন আমরা সেই নির্বাচনে ভোট দিতে পারছি। অবশ্যই আমাদের অনেক আগ্রহের জায়গা," তিনি জানাচ্ছিলেন। আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ কতোটা আছে ক্যাম্পাসে? ১১ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবন প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য: অপরাজেয় বাংলা। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা শুধু ডাকসুর নাম শুনেছেন। কিন্তু সেটা কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই - তাই ভোট দেয়ার আগ্রহ কম বলে জানিয়েছেন। অনেকে আবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। একজন বলছিলেন, ''আমি ডাকসু সম্পর্কে খুব বেশি জানি না, কারা প্রার্থী তাও জানি না। তাই আন্দাজে কাকে ভোট দেব?'' "আমার বাবারা সবশেষ ভোট দিয়ে বের হয়ে গেছে, আর আমরা এসেই আবার এতদিন পর ভোট দিতে পারবো। সেটা নিয়ে একটা উত্তেজনা আছে। কিন্তু একটু ভয় আছে যে কিছু হয় কিনা," বলছেন আরেকজন শিক্ষার্থী। ''আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। তারপরেও আসবো। কারণ মনে হচ্ছে না সুষ্ঠু ভোট হবে ।" তিনি জানান: "সবার কাছ থেকে খবর নিয়ে তারপর আসবো। এখানে আসলাম লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম তারপর দেখলাম কোন লাভ হল না।" এমন ভাবে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আজ প্রার্থীদের সেই অর্থে প্রচারণা কার্যক্রম দেখা যায়নি তবে সরব উপস্থিতি ছিল তাদের। এদিকে যারা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা বলছেন, একটা সময় ছিল যখন ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালু ছিল। কিন্তু এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন হিসেবে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, 'বেঁচে নেই কেউ' আরো দুই আইএস জিহাদি বধূর নাগরিকত্ব বাতিল শামীমার ‘অন্যায়ের’ জন্য ক্ষমা চাইলেন তার বাবা সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২৮ বছর আগে। লেখক এবং রাজনীতির পর্যবেক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়া, সাধারণ ছাত্রদের অংশগ্রহণ না থাকার ফলে এই বিষয়টা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি বলছিলেন, ''এরা ঠিক ছাত্রদেরও রিপ্রেজেন্ট করে না। ছাত্রদের সমস্যা, দাবি-দাওয়া, এসব নিয়ে কাজ করে না। অনেকে আছে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়ালের মত কাজ করে।" মি. আহমদ বলছিলেন, ''দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ার কারণে এখন এটা নিয়ে একটা আকর্ষণ, বা ভোট দেয়ার আনন্দ বা কিছু ফান এই জিনিসটাই আছে।" "কিন্তু আগে যেভাবে হত সেখানে রাজনীতিতে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আদর্শের লড়াই ছিল। এখন আর সেই জিনিসটা নেই। ফলে ডাকসু নির্বাচনটি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে।'' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়ম খুব একটা অনুসরণ করা হয়নি। এ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাত বার, যেটি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯০ সালে। | শনিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা। কিন্তু সারা ক্যাম্পাস জুড়ে বিভিন্ন প্যানেল, প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানারে সাটা। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | লিউ শিংটিংয়ের গাড়ির ক্যামেরার ছবি কিন্তু পথের মাঝে হঠাৎ দেখলেন অন্য আরেকটি গাড়ী পাশের একটি লেকের মধ্যে পড়ে গেল। আরো খবর: কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি জিম্বাবুয়ের নতুন নেতার মাসিক বন্ধ হওয়া আর ধর্ষণই যেখানে নারীদের রুটিন দেরি করলেন না মি: লিউ। সাথে সাথে তিনিও নেমে পড়লেন পানিতে। একজন গর্ভবতী নারীসহ চারজনকে উদ্ধার করলেন। নাটকীয়ভাবে জীবন বাঁচানোর এই খবর শুনে রেস্তোরাঁর মালিক তাকে সারা জীবন মাছের মাথা সরবরাহ করার ঘোষণা দেন। লিউ শিংটিং "তখন আমার চিন্তা করার বা ভয় পাওয়ার একদম সময় ছিল না। প্রথমেই আমি জীবন বাঁচানোর বিষয়টা চিন্তা করি," স্থানীয় পত্রিকা হাংঝু ডেইলি'কে বলছিলেন মি: লিউ। তিনি বলেন, "জুতা এবং জামাকাপড় না খুলেই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়াটা বিপজ্জনক ছিল। কিন্তু বিষয়টা খুবই জরুরী ছিল।"মি: লিউয়ের ড্যাশক্যামের ভিডিও থেকে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যান ওভারটেকিং করার সময় পথ হারিয়ে রাস্তার পাশের কিয়ানডাও লেকে পড়ে যায় প্রাইভেট কারটি। মি: লিউ গাড়ীর আরোহীদের জানালা দিয়ে বের করে আনেন, খবর হাংঝু ডেইলির। এই ঘটনার পরে কিয়ানডাও লেক ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ তার জন্য আজীবন মাছের মাথার বিল প্রদান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম । | অফিসের সহকর্মীদের সাথে দুপুরের খাবারের জন্য বের হয়েছিলেন চীনের নাগরিক লিউ শিংটিং। স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় মাছের মাথা ভুনা খাওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ২৬ বছরের লুসির সঙ্গে যখন তার তৎকালীন ছেলে বন্ধুর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, তিনি নিজেকে যুক্তরাজ্যের অন্যতম 'লুকায়িত আবাসন' ব্যবস্থার মধ্যে আটকে পড়েছেন বলে দেখতে পান। এটি হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একজন তার বাসা বদলাতে পারেন না। লুসি যখন তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে লন্ডনের একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন, তখন তাকে ছয়মাসের জন্য চুক্তি করতে হয়েছিল। সে সময় তাদের বেশকিছু পাউন্ড ডিপোজিট দিতে হয়। সেই ডিপোজিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও আরো তিন মাস ধরে দুজনকে সেই বাসাতেই থাকতে হয়েছে। বাসায় সোফা-কাম-বিছানা ছিল একটি, যেটি তাদের দুজনকেই শেয়ার করতে হতো। লুসির জীবনে এরকম ঘটনা আরো একবার ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের বাসা সংক্রান্ত একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে একই বাসায় আটকে পড়ার ঘটনা যুক্তরাজ্যে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরো পড়ুন: যেভাবে হৃদয় ভঙ্গের বেদনা সামলাতে পারেন কীভাবে গড়ে তুলবেন, ধরে রাখবেন দু'জনের সম্পর্ক? সামাজিক মাধ্যমে প্রেম-বিয়ে-সম্পর্ক; মেয়েদের কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে? বিয়েতে কি শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই হবে? যুক্তরাজ্যের বাসা সংক্রান্ত একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে একই বাসায় আটকে পড়ার ঘটনা যুক্তরাজ্যে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেল্টার নামের ওই সংস্থাটি বিবিসি থ্রিকে জানিয়েছে, তারা অনেক সময়েই ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে শুনতে পান যে, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরে মানসিক কষ্টের মধ্যেও আইন ও অর্থনৈতিক কারণে তারা বাসা ছাড়তে পারেন না। ''অনেক মানুষ সামর্থ্যের কারণে যেমন নিজেদের জন্য নতুন বাসা খুঁজে নিতে পারেন না, আবার মেয়াদি চুক্তির কারণেও তাদের পক্ষে নতুন ঠিকানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না,'' বলছেন দাতব্য সংস্থা শেল্টারের প্রথম নির্বাহী পল নিয়েট। ন্যাশনাল হাউজিং ফেডারেশনের সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে লুসির মতো প্রায় ২৫ লাখ ব্রিটিশ এরকম লুকায়িত আবাসনের মধ্যে রয়েছে, যারা তাদের শেয়ার করা বাড়ি ছাড়তে পারছে না, বা অভিভাবকদের কাছে যেতে পারছে না অথবা সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আঠারো বছর আগে তরুণরা যতটা সম্পদশালী ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক দরিদ্র হয়েছে। লুসির কাহিনী পরিবারের সঙ্গে বর্নমাউথে বসবাস করতেন লুসি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হওয়ার পরে ছেলে বন্ধুর সঙ্গে একটি বাসায় একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন। সে সময় লন্ডনের ফ্যাশন শিল্পে তিনি চাকরি খুঁজছিলেন। ''আমি তার সঙ্গে একত্রে থাকতে শুরু করি কারণ আমিও সেটা চাইছিলাম-কিন্তু এর বাইরে অর্থনৈতিক ব্যাপারও ছিল যে, খরচগুলো তার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়া। কারণ লন্ডনে আমি তখন কম বেতনে চাকরি শুরু করতে যাচ্ছিলাম।'' লুসির সে সময়ে মাসিক আয় ছিল ১৮০০ পাউন্ডের কিছু বেশি আর তিনি বাসা ভাড়া ও বিল বাবদ দিতেন ৮০০ পাউন্ড। কিন্তু সেই সময়েই তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি সম্পর্কের অবসান চাইছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাবরি মসজিদ রায়ে মুসলমানরা 'সুবিচার পায় নি' পশ্চিমা প্লাস্টিক দূষিত করছে ইন্দোনেশিয়ার খাবার ক্যান্সার চিকিৎসার সময় যেসব খাবার নিষেধ কীভাবে উদঘাটিত হলো ত্রিশ বছর আগের হত্যা রহস্য ''প্রথমবারের মতো আমরা দুইজন একত্রে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলাম। যখন আলাদাভাবে থাকা হয়, তখন আসলে সম্পর্কের জটিলতাগুলো বোঝা যায় না।'' কিন্তু সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও আরো তিনমাস তাদের দুজনকে একত্রে এক বাসায় থাকতে হয়। সেখানে এমনকি তাদের একই বিছানায় ঘুমাতে হয়, যা ছিল দুজনের জন্যই একটি কঠিন ব্যাপার। ''আমাদের একটা সোফা ছিল, যেটা আবার বড় করে নিলে বিছানা হিসাবেও ব্যবহার করা হতো। আমরা পালাক্রমে সেখানে ঘুমাতাম। কিন্তু কখনো কখনো এমন সময় আসতো যে, দুজনেরই ঘুম দরকার। তখন আমাদের একসঙ্গে ঘুমাতে হতো। তবে খানিকটা স্বাধীনতার জন্য আমরা মাঝে একটা বালিশ দিয়ে রাখতাম।'' ''যতদিন আমাকে বাসা ভাড়া দিতে হবে, ততদিন আমি সেখানে থাকবো। আমার সেখানে থাকার সব অধিকার আছে।'' শেল্টার নামের ওই সংস্থাটি বিবিসি থ্রিকে জানিয়েছে, তারা অনেক সময়েই ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে শুনতে পান যে, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরে মানসিক কষ্টের মধ্যেও আইন ও অর্থনৈতিক কারণে তারা বাসা ছাড়তে পারেন না। যদিও বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু এই বাসাটি তার কর্মক্ষেত্রের কাছে এবং সেখানে তার নিজের মাল-সামানও ছিল। ''আমি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতাম। হয়তো জোর করে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতাম, বাসায় অ্যালকোহল পান করতাম না, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে হয়তো একত্রে টিভি দেখতাম। আমরা দুজনেই ছিলাম যেন হেটে চলে বেড়ানো মৃত মানুষের মতো।'' এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর লুসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি আর কখনোই কারো সঙ্গে থাকতে যাবেন না। ''একবারের অভিজ্ঞতাই এতটা ভয়াবহ ছিল যে, আমি নিজেকে বললাম, আর কোন সঙ্গীর সঙ্গে আর একত্রে থাকতে যাবো না।'' কিন্তু ২০১৮ সালে নতুন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে একত্রে থাকতে শুরু করার পর আবার প্রায় একই রকম পরিস্থিতিতে নিজেকে দেখতে পান লুসি। ''আমার মধ্যে অস্বস্তি থাকলেও, তার সঙ্গে একত্রে থাকাটা বেশ সুবিধাজনক এবং কম খরচের বলে মনে হলো। বিশেষ করে আমাদের অন্য মানুষজনের সঙ্গে থাকতে হবে না, যাদের কারণে আমাদের জীবন কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং আমি নতুন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে থাকতে শুরু করলাম।'' কিন্তু এই সম্পর্ক যখন শেষ হয়ে গেল, এই যুগল অবশ্য ডিপোজিটের মায়া না করে তাদের সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। লুসি বর্নমাউথে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করলেন। লুসি বলছিলেন, আবাসন খাতের এই পরিস্থিতি তার 'মানসিক, শারীরিক আর অর্থনৈতিকভাবে' ভোগান্তির কারণ হয়েছে। ''আমি মনে করি, পুরো ব্যাপারটি অস্বস্তি আর লজ্জার। আবাসনের এরকম পরিস্থিতিতে পড়ার পরেও একজন তরুণীর কোথাও যাবার সুযোগ থাকে না আর ভেঙ্গে পড়া একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকলে যেন সেই ব্যর্থতাকেই মেনে নেয়া হয়,'' লুসি বলছিলেন। | ''আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি একটা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছি। আমার সঙ্গে দুইবার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে।'' |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | আর্জেন্টিনার রঙে রঙিন ভক্ত ঢাকার মাটিতে পা রেখেছে দু‘বার বিশ্বকাপ বিজয়ী ফুটবল দল আর্জেন্টিনা আর তার তারকা বিশ্বসেরা ফুটবলার লিয়োনেল মেসি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুযোগ মিলবে ঢাকার মাটিতে আর্জেন্টিনা আর মেসির ফুটবলের যাদু দেখার। প্রতিপক্ষ দল হলো বেশ কয়েকবারের আফ্রিকান কাপ চ্যাম্পিয়ন ‘সুপার ঈগলস‘ নামে পরিচিত নাইজেরিয়া। বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকরা অবশ্য আর্জেন্টিনা নিয়ে মেতে আছেন বেশি। ঢাকায় অনুশীলনরত মেসি সেই দর্শকদের একজন ঢাকার এক বাসিন্দা অলি আহমেদ বলছিলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি ফুটবলের ভক্ত আর আর্জেন্টিনা আমার প্রিয় দল । কালকের খেলা দেখার জন্য আমি আর্জেন্টিনার জার্সি আর ফ্ল্যাগ কিনেছি৻” সোমবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায় আর্জেন্টাইন দল। পৌঁছেই সোজা হোটেলে। সেখানে সকাল থেকে বসেছিলেন ঢাকার লালমাটিয়ার মীম। জানালেন, একটিবার শুধু মেসিকে দেখবেন বলেই তার আসা। এই উত্তেজনা ছাপিয়ে অনেকের মাঝেই খানিকটা বিষাদ৻ কারণ খেলার টিকেট মেলেনি আর তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সামনে ছোটখাট প্রতিবাদ সমাবেশও হয়ে গেল এক দফা । অবশ্য অনেক দর্শক টিকেট পাওয়ার চেষ্টাই করেননি। তাদের কাছে মূল সমস্যা টিকেটের দাম। মঙ্গলবারের প্রীতি ম্যাচে টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৭৫০০ টাকা। এই টাকায় খেলা দেখার সামর্থ্য নেই বলে জানালেন মিরপুরের বাসিন্দা মো: আনোয়ার হোসেন। তিনি বললেন, টিকেটের দাম ৩৫০০ হলেও তিনি মাঠে যেতেন৻ টিকেটের দামের কথা ভেবে যারা মাঠে যাচ্ছেন না তাদের একমাত্র ভরসা টেলিভিশন। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার খেলা দেখানোর একচ্ছত্র স্বত্ব পেয়েছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। দলকে উৎসাহ দিচ্ছেন এক ভক্ত দর্শকদের অনেকেই অবশ্য শুধুমাত্র একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর বিষয়ে সন্তষ্ট নন৻ এনিয়ে মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক এলাকাতে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ভালমতো দেখা যায় না। বিটিভি অথবা ইএসপিন হলে খেলা দেখতে সুবিধা হতো । বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা মুলত দুই শিবিরে বিভক্ত। আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল নিয়েই তাদের মাতামাতি বেশি৻ আর তার প্রকাশ মেলে চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, এই প্রীতি ম্যাচ হবে বাংলাদেশে ফুটবলের হারানো দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। গত জুন মাসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই নাইজেরিয়ার বিপক্ষেই মাত্র দু‘মাসের ব্যবধানে আবার মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। দলের সদ্য নিযুক্ত কোচ আলেহান্দ্রো সাবেলা অবশ্য বলেছেন, প্রতিশোধের জন্য নয়, শুধু জয় পাওয়ার জন্যই খেলবে আর্জেন্টিনা। আর তারই আগে বাংলাদেশের দর্শকদের এখনকার প্রতীক্ষা -- মেসির পায়ের যাদু আর প্রাণবন্ত এক ম্যাচ৻ | অবশেষে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো৻ |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ব্রিস্টলে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি চলতে থাকায় শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু করা সম্ভব হয় নি। ব্রিস্টলে ও এই শহরের আশেপাশে সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে। টানা বা খুব ভারি বর্ষণ হয়েছে কমই। কিন্তু থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঠান্ডা হাওয়া ক্রিকেটের পরিবেশকে প্রতিকূল করে তুলেছে ক্রমশ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় দু'টোয় খেলা পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ব্রিস্টলের এই মাঠে তিনটি বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে দুটো ম্যাচই বৃষ্টিতে ভেসে গেলো। আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটা অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় আম্পায়ারদের মাঠ পর্যবেক্ষণের কথা ছিলো - সেটিও হয়নি আবহওয়ার বৈরিতার কারণে। স্থানীয় সময় সোয়া ১২টার দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন আম্পায়াররা। এরপরেও দু'বার পর্যবেক্ষণ করেন আম্পায়াররা কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বরং বৃষ্টি বেড়েছে ব্রিস্টলের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: এটিএম বুথ: কতভাবে হ্যাক হতে পারে? আজ ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশের সামনে কঠিন সমীকরণ স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের জটলা স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে মাঠের দিকে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। পরে সেই সময় পরিবর্তন করে ১১টায় নেয়া হয়। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করার সর্বশেষ সময় অর্থাৎ কাট-অফ টাইম ঠিক করা হয় ৪ টা ১৫ মিনিটে, স্থানীয় সময়। ভক্তরা হতাশ ডেনমার্ক থেকে এসেছিলেন এক দম্পতি - যারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টিকেট কেটেছিলেন। খেলা দেখতে না পেরে হতাশ রিমি বলেন, এটা খুবই দু:খজনক। "আমি ভাবিনি এমনটা হবে, যদিও পূর্বাভাস ছিল। তবু আশা করছিলাম, যাতে এমন কিছু না হয়।" বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী 'দৌড়া বাঘ আইলো'র একজন প্রতিনিধি সৈয়দা তাহিয়া তাসনিম বাংলাদেশের সবগুলো খেলার টিকেট কেটেছেন। লন্ডন থেকে তিনি ব্রিস্টলে এসেছেন বাবার সাথে। আসার পর আবহাওয়ার এমন অবস্থা দেখে মন খারাপ হয়েছে তার। তবে ব্রিস্টলে বসবাসরত বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা বেশ আয়োজন করে ম্যাচ দেখতে আসেন কিন্তু তারা হতাশ না হয়ে স্টেডিয়ামের চারপাশ সরব করে রাখেন পুরোটা সময়। | ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর লিগ পর্বের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | গ্রেফতারকৃত ১১ ব্যক্তি যারা ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতো বলে দাবি করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশ জানাচ্ছে, গ্রেফতারকৃতরা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ডাকাতির কাজে জড়িত ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ১১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ইউসুফ কাজী, আলাউদ্দিন আলী, আকাশ রহমান, আফসার আলী, ফারুক হোসেন, মালেক মিয়া, মাসুদ পারভেজ, শাহিন কাজী, লিটন শেখ, মাসুম গাজী ও আসলাম শেখ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি, তিনটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, দুটি দেশি পাইপগান, তিনটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়াকিটকি, ডিবি পুলিশের পাঁচটি জ্যাকেট, পাঁচটি হ্যান্ডকাপ ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: পদ্মা সেতু ইস্যু: সরকারের নৈতিক বিজয়? সৌদি আরবে তরুণদের জন্য খুলছে বিনোদনের পথ মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮৮ রান নারী নির্যাতনের মামলায় আরাফাত সানির জামিন নাকচ | ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জন 'ভুয়া ডিবি পুলিশ'কে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | একজন চিকিৎসকের আক্রান্ত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ডাক্তারদের বিক্ষোভ সোমবার সন্ধ্যের পর ধর্মঘটরত ডাক্তারদের ''আন্দোলনের কেন্দ্র'' নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিডিয়ার সামনে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়। সংকট মেটানোর লক্ষ্যে আজ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠক করেন ধর্মঘটী ডাক্তাররা। তাতে ডাক্তারদের প্রায় সব দাবি ও প্রস্তাবই গ্রহণ করেছেন মমতা ব্যানার্জী, এমনটাই বলা হয় বিভিন্ন সূত্রে। তার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণাটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় ঘন্টা দেড়েকের বৈঠকটির একেবারে শেষে মমতা ব্যানার্জী চাইছিলেন, ওখান থেকেই যেন ডাক্তাররা ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। মিজ ব্যানার্জী তার নিজস্ব স্টাইলে বলেন, "লক্ষী ভাই বোনেরা আমার, তোমরা প্লিজ কাজে ফিরে এসো। " আক্রমণে আহত ডাক্তারের ছবি নিয়ে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল ছাত্রদের মিছিল কিন্তু চিকিৎসকরা খুব বিনীতভাবেই বলেন, যে তাদের আন্দোলনের যে কেন্দ্রস্থল এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ, সেখানে ফিরে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে নিয়েই কাজে ফেরার ঘোষণা করবেন। গোটা বৈঠকটাই টিভিতে লাইভ দেখানো হয়। গত সপ্তাহে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দুই জুনিয়ার ডাক্তারকে মারধর করা হয়। এর পরই বিক্ষুব্ধ ডাক্তাররা ধর্মঘট শুরু করেন। ডাক্তারদের মূল দাবিগুলো ছিল হাসপাতালগুলোতে কর্মরত ডাক্তারদের নিরাপত্তা, এবং পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী ধর্মঘটী ডাক্তারদের সব অভাব অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন, এবং সেখানেই হাজির আমলাদের এ ব্যাপারে নির্দেশ দেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: প্রতিকার কী? জাদু দেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ জাদুকর প্রবাসীদের নিয়ে হঠাৎ কী হলো ঢাকার বিমানবন্দরে ধর্মঘটে অচল কোলকাতার একটি হাসপাতাল এসবের মধ্যে আছে জরুরি বিভাগে রোগীর আত্মীয়দের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, গেট লাগানো, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা, অভিযোগ সেল তৈরি করা, বা কোনও চিকিৎসক আক্রান্ত হলে রাজ্যজুড়ে একটি টোল-ফ্রি নম্বরে যাতে জানানো যায় তার বন্দোবস্ত করা। বৈঠক সূত্রগুলো বলছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এসব দাবিদাওয়ার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু নির্দেশ দেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের ডাকা এ ধর্মঘট সারা ভারতেই পালিত হয়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, অনেক বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারও যোগ দিয়েছিলেন এই ধর্মঘটে। শুধু জরুরি বিভাগগুলো চালু ছিল। এ জন্য সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। আরো পড়তে পারেন: 'যে কোনও সময়ে প্রসব হবে। কোথাও ডাক্তার নেই' | ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা চিকিৎসক ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয়নি'। জরিপে অংশ নেওয়া কিশোর ও তরুণদের এক তৃতীয়াংশের বেশি নারী এবং এক চতুর্থাংশের বেশি পুরুষ মনে করেন যে তারা প্রথম যখন যৌন সঙ্গম করেন সেটি 'সঠিক সময়' ছিল না। আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে যৌনমিলনের সম্মতি প্রদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে অন্তত ১৬ বছর বয়সী হতে হয়। যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে ঐ বয়সে অনেকেই যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত থাকে না। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে' নামে পরিচিত এই জরিপটি প্রতি দশকেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকরা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জরিপে অংশ নেওয়া ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর দেয়া তথ্য ব্যবহার করেছেন এই জরিপে। জরিপের ফলাফল অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তর থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০% নারী এবং ২৬% পুরুষ মনে করেন যে তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয় নি'। এদের অধিকাংশই মনে করেন যে, কৌমার্য বা কুমারীত্ব পরিত্যাগ করার আগে তাদের আরো অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তবে স্বল্পসংখ্যক উত্তরদাতা প্রথম যৌন সঙ্গম আরো আগে সংঘটনের পক্ষ নেন। অধিকাংশই ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই প্রথমবার যৌনমিলনের স্বাদ নিয়েছেন - যাদের প্রায় অর্ধেক নিজেদের ষোড়শ বর্ষের শেষদিকে যৌন সঙ্গম করেছেন। এক তৃতীয়াংশের প্রথমবার ছিল তাদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগেই। ইচ্ছা ও প্রস্তুতি জরিপে যৌনমিলনের প্রস্তুতির বিষয়টিরও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় প্রথমবার যৌন সঙ্গম করার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে সম্মত হতে সক্ষম কিনা - তা যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, সম্মতি দেয়ার সময় কোনো ধরণের মাদকের প্রভাবে না থাকা বা সঙ্গী, বন্ধুবান্ধবদের চাপে পড়ে সম্মতি না দেয়ার মতো বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া নারীদের প্রায় অর্ধেক এবং পুরুষদের প্রায় ৪০% এই ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়। নারীদের প্রতি পাঁচজনে একজন এবং পুরুষদের পুরুষদের প্রতি ১০ জনে ৪ জনই মনে করেন প্রথম মিলনের সময় তাদের সঙ্গী সমান আগ্রহী ছিল না। অর্থাৎ তারা মনে করেন তাদের সঙ্গীরা অনেকটা চাপে পড়েই প্রথম মিলনে সম্মতি দিয়েছিলেন। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে'র প্রতিষ্ঠাতা কায়ে উইলিংস মনে করেন কোনো ব্যক্তি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা বয়সের মানদণ্ডে যাচাই করা উচিত নয়। "প্রত্যেক তরুণই আলাদা - কেউ ১৫ বছর বয়সেও যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত হয়, আবার অনেক ১৮ বছর বয়সীও প্রস্তুত না থাকতে পারেন", বলেন মি. উইলিংস। সহ-গবেষক মেলিসা পামার বলেন, "আমাদের পাওয়া তর্থ বিশ্লেষণ যাচাই করে ধারণা করা যায় যে, প্রথম যৌনমিলনের সম্মতি দেয়ার ক্ষেত্রে উঠতি বয়সী তরুণদের চেয়ে তরুণীরা অপেক্ষাকৃত বেশি চাপের মধ্যে থাকে।" তিনি বলেন তরুণ-তরুণীরা যেন প্রথম যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ও নিরাপদ যৌন সঙ্গমের নিশ্চয়তা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্কুলগুলোর যৌনতা বিষয়ক পাঠ্যসূচি সাজানো প্রয়োজন। কখন সঠিক সময়? আপনি যদি মনে করেন যে আপনার যৌন সঙ্গমের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে আগে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন। এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে হয়তো আপনি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নিচের কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি প্রস্তুত নাও হতে পারেন: | বৃটিশদের যৌনতা বিষয়ক সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে যে, তরুণদের প্রধান আফসোসের বিষয় যথাযথ বয়সের অনেক আগেই প্রথম যৌনমিলন সম্পন্ন করা। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে কড়া নজরদারীর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যহত না হয় সেবিষয়ে আলোচনা করতে মোবাইল অপারেটর এবং বিটিআরসির সাথে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে। এই বৈঠকে সব মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও বিটিআরসির কেউ উপস্থিত ছিল না। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মোবাইল অপারেটর এবং বিটিআরসি কীভাবে এই কাজটি করবে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায় নি। সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে মোবাইল অপারেটর অথবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে ২৪ ঘণ্টা কমিশনের সাথে যোগাযোগে রাখতে হবে। কমিশন যদি মনে করে যে হঠাৎ করে কোন গুজব শুরু হয়েছে এবং তারা যদি প্রয়োজন মনে করে তবে কমিশন তাৎক্ষনিক-ভাবে তাদেরকে নির্দেশনা দিতে পারবে। এবং সেভাবে তাদেরকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬ দিন আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশন প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচন এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন এর আগের যেকোন নির্বাচনের তুলনায় ব্যাপক হারে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা ট্রাম্পকে টুইটারে জ্ঞান দিয়ে ভাইরাল আসামের তরুণী | বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সোমবার দেশটির সব মোবাইল অপারেটর এবং বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোন প্রকার অপপ্রচার, গুজব এবং নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকলে সেগুলো খুঁজে বের করতে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | যৌতুকের কারণে বিয়ের পর অনেক অত্যাচারের পর মেরে ফেলেছে এমন ঘটনার খবরও অনেক হয়েছে বাংলাদেশে যৌতুক নিয়ে বহু বছর ধরে নানা প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। বর্তমান আইনেও এর কঠোর সাজার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তারপরও নিয়মিত যৌতুকের কারণে নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়। তাহলে এত প্রচারণা ও আইন কি ব্যর্থ হলো? বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী বলছেন "বিচারহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে"। সালমা আলী বলেন "তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের যারা আছে তারা যৌতুকের বিষয়টাকে সিস্টেমের মতো করে ফেলেছে, এটা দিতেই হবে। যৌতুকের কারণে অনেক অত্যাচারের পর মেরে ফেলেছে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। তবে আগের তুলনায় যদিও কমেছে। কিন্তু ঘটনা ঘটছে"। সিলেটের ঘটনাটি খুবই নৃশংস উল্লেখ করে সালমা আলী বলছেন- কোনও সময় মানুষ দেখে না যে এমন নির্যাতনের ঘটনার পর অভিযুক্তের বিচার হয়েছে। "তাই এমন কাজ যারা করে তারা মনে করে তারা শক্তিশালী, মনে করে যাই করি না কেন আমিতো পার পেয়ে যাবো। এটা একটা মানসিক রোগের মতো।" বিবিসি বাংলার আরো খবর পড়ুন: ভারতে মার্কিন পর্যটক ধর্ষণ: ৪ জন গ্রেপ্তার ভাড়া বাড়িতে উঠলেন ড. মুহম্মদ ইউনুস ভারতে মোহাম্মদ শামির স্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিতর্ক বিশ্লেষকদের মতে নির্যাতনের কিছু ঘটনা খবরের শিরোনাম হচ্ছে বাকিগুলো থাকছে আড়ালে "শুধু স্বামী না শাশুড়ি বা পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্বারাও নির্যাতিত হচ্ছে মেয়েরা। অনেক সময় নির্যাতনটা শুধু যৌতুকের কারণে না হয়ে অন্য কারণেও হয়। কিন্তু আদালতে দেখায় যৌতুক, পরে সাক্ষী বা প্রমাণের অভাবে আসামী পার পেয়ে যায়"। শুধু নিম্নবিত্ত নয় উচ্চবিত্তের মধ্যেও যৌতুকের বিষয়টা অন্যভাবে বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন সালমা আলী। কারণ এখন শহুরে বিয়েতে যৌতুক শব্দটি ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু বিয়ের সময়ও প্রচুর জিনিসপত্র দেয়া হয় যেগুলোকে উপহার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। "অনেকে এমনও আছেন যারা সামর্থের বাইরে যেয়ে বিয়েতে উপহার দেন"-বলছেন সালমা আলী। "উপহার দেওয়া যায় কিন্তু তার একটা সীমা আছে, বাড়ি-গাড়ি দিলাম এটাই কিন্তু সমস্যা। অনেক সময় কিন্তু চাপও থাকে। ওরতো স্ট্যাটাস আছে, দিবেই। আমার স্ট্যাটাস ঠিক রাখতে অনেক কিছু দিতে হবে- এই মাইন্ড সেটটা কিন্তু এখন প্রবল হয়ে গেছে, এটা একটা বড় সমস্যা"। "মেয়ের বিয়ের সময় বেশি বেশি দিচ্ছি আবার ছেলের বিয়ের সময়ও বেশি নেবো-এটা একটা যেন বিজনেসের মতো করে ফেলেছে"-বলছেন এডভোকেট সালমা আলী। এডভোকেট সালমা আলী বলছেন "পরিবারগুলো যদি ভাবে মেয়ের বিয়ের সময় আমি এভাবে কিছু দিবো না এবং ছেলের বিয়েতেও নিবো না তাহলে কিন্তু বিষয়টা কমে যায়। এরকম পরিবার কিন্তু আছে তবে খুব কম।" | বাংলাদেশের সিলেটে যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর জিহ্বা ও পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বলছে অভিযুক্ত স্বামী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক চেয়েছিলো। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | দুইটি তেলের জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন,ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি ওই হামলায় জাহাজগুলোর 'অনেক' ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, অনেক গুলো দেশের নাগরিক থাকা চারটি জাহাজ হামলার শিকার হয়। তবে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হামলার এই ঘটনা 'উদ্বেগজনক এবং ভীতিকর' এবং এর পূর্ণ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এখান দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও নৌ চলাচলের ওপর ইরানের হুমকির 'পরিষ্কার ইঙ্গিত' পাওয়ার কথা জানিয়ে কিছুদিন আগে ওই এলাকায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। আরো পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী কাতারে কেন নেমেছে চারটি মার্কিন বি-৫২ বিমান? ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র 'গুপ্ত হামলা' সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে ''আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে।'' সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সি মি. ফালিহকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে। ''দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।'' হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মি. ফালিহ বলছেন, ''সাগরে নৌচলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।'' তবে ফুজাইরাহ বন্দরে রবিবার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার। ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' ইন্দোনেশিয়ার যে গ্রামে মা ছাড়াই বড় হচ্ছে শিশুরা যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট | সৌদি আরবের কয়েকটি তেলবাহী জাহাজ 'গুপ্ত হামলার' শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় মাস্ক এবং সুরক্ষা উপকরণ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন ডা. আবু তাহের। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার আবু তাহের ১৬ই এপ্রিল তার ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তার বিভাগের চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় মাস্ক এবং সুরক্ষা উপকরণ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। মাস্ক ও সুরক্ষা উপকরণ মজুদ রাখা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ঐ স্ট্যাটাসের প্রেক্ষিতে শনিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের দপ্তর থেকে আবু তাহেরের নামে কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ জারি করা হয়। চিকিৎসক আবু তাহের স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগকে 'শিষ্টাচার বর্জিত শব্দ প্রয়োগ' করে অভিযুক্ত করার 'অপচেষ্টা' চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় নোটিশে। আবু তাহেরের ঐ স্ট্যাটাস 'সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনো শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে বা অন্যকে প্ররোচিত করতে' পারে অভিযোগ তুলে তার নামে জারি করা হয় ঐ নোটিশ। কী বলছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক? চিকিৎসক আবু তাহের তার স্ট্যাটাসে লেখেন: "এখন পর্যন্ত আমি সহ আমার ডিপার্টমেন্ট এর কেউ ১টিও n95/kn95/ffp2 মাস্ক পাইনি। তাহলে স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার কেন করলেন উনি n95 ইকোয়িভেলেন্ট মাস্ক দিচ্ছেন? এই মিথ্যাচার এর শাস্তি কি হবে?" এছাড়া তার বিভাগে ৮ জন চিকিৎসকের জন্য ২টি পিপিই দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দরকার, যেহেতু আমাদের রোগীর মুখের সবচেয়ে কাছে থেকে কাজ করতে হয়। কিন্তু আমাদের বিভাগে এসব সুরক্ষা উপকরণ দেয়া হচ্ছে না।" তিনি মনে করেন সুরক্ষা উপকরণ না থাকায় চিকিৎসকরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন, তেমনি অসুরক্ষিত অবস্থায় বহু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকরাও অন্য রোগীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। আবু তাহের বলেন, "আমাদের মত দেশে সরকার সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীকে সব ধরনের সুরক্ষা উপকরণ দিতে পারবে না, এটা স্বাভাবিক। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা চিকিৎসা দেই। কিন্তু তাহলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে যে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ মজুদ আছে?" কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী বলছে? হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশটিতে আবু তাহেরের অভিযোগকে মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, ফ্লু কর্ণার, জরুরি বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ ও শিশু বিভাগসহ সব বিভাগে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই সহ যাবতীয় সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে ঐ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা একজন চিকিৎসক জানান প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী নতুন পিপিই পেলেও যথাযথ মাস্কের অভাবে তারা অনিরাপদ অবস্থাতেই রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। ঐ চিকিৎসক বলেন, "আমাদের বিভাগে যথেষ্ট পিপিই থাকলেও আমরা সাধারণ মানের একটি মাস্ক ব্যবহার করি, যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।" কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা সম্পর্কে কথা বলতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ফরিদউদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তর দেননি। | সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও বক্তব্যের সমালোচনায় তোলায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, কারাবিধি অনুসারে তাকে ডিভিশন বা রাজবন্দীর মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ গতকাল বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে দেখা করার পর বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, "২০০৬ সালের সংশোধিত জেল কোডে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে কারা কারা অটোমেটিক্যালি ডিভিশন পাবে। অথচ উনাকে কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি। উনি সাধারণ কয়েদি হিসেবে আছেন।" তিনি আরও বলেন, ডিভিশন পাওয়ার জন্য কোন আদালতের অর্ডার লাগেনা। কারণ আইনের মধ্যেই আছে । এমন প্রেক্ষাপটে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত ডিভিশন-প্রাপ্ত বন্দী হিসেবে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, মিসেস জিয়া এখনো সাধারণ বন্দী হিসেবে আছেন। আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছে তার কপি হাতে পাওয়ার পরে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি জানান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সাথে কিছু আরব দেশের 'গোপন মৈত্রী'? হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজেও থাকছেন না সাকিব সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না ভারতে একবছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ঢাকায় পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার কিন্তু কারাগারে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা বা ডিভিশন বিষয়ে জেলকোডে আসলে কি বলা আছে? জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশেও কাউকে কাউকে ডিভিশন দেওয়া হয়। বিবিসি বাংলাকে এমনটাই বলছিলেন, সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর ডিভিশন দেয়া হয়ে থাকে। ডিভিশন-১, ডিভিশন-২ এবং ডিভিশন-৩। এ ধরনের ডিভিশনপ্রাপ্তরা কি ধরনের সুবিধা পাবেন জানতে চাইলে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মি: হায়দার বলেন, " বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন-প্রাপ্তদের প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। খাট, টেবিল,চেয়ার,তোষক,বালিশ, তেল, চিরুনী, আয়না সবকিছুই থাকে। আর তার কাজকর্ম করে দেয়ার জন্য আরেকজন বন্দীও দেয়া হয়। ছেলে বন্দীর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে ছেলে আর মেয়ে বন্দীর জন্য একজন মেয়ে থাকবেন।" তাছাড়া তিনি বইপত্র পাবেন এবং তিনটি দৈনিক পত্রিকা পাবেন। সাধারণ বন্দীদের চেয়ে ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দীর খাওয়ার মানও ভাল থাকে, জানান তিনি। এ ধরনের সুবিধা কাদের ক্ষেত্রে দেয়া হয়? সাধারণত সামাজিক মান- মর্যাদা অবস্থান বিবেচনায় ডিভিশন প্রদান করা হয় বলে জানান সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার। তিনি বলেন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স যেটি আছে, কনভিক্টেড বন্দীদের ক্ষেত্রে (সাজাপ্রাপ্ত বন্দী) আদালত ডিভিশন প্রদান করেন। কোন কারণে আদালত সেটি না দিয়ে থাকলে, তখন তারা আবেদন করতে পারেন। কারা কর্তৃপক্ষ সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তিনি ডিভিশন পাবেন কি-না? এক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কি ধরনের ডিভিশন পাওয়ার কথা? সে প্রশ্নে মি: হায়দার বলেন, পর্যায়ক্রমে তার অবস্থান বলতে গেলে তিনি সাবেক সেনাপ্রধানের ওয়াইফ ছিলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিলেন, নিজে তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং একটি দলের সভানেত্রী বা প্রধান। সার্বিক বিবেচনায় উনার ডিভিশন পাওয়ার কথা এটা আইনের মধ্যেই আছে। কোর্ট থেকে উনাদের অনুমোদন না দেয়ার কারণে উনারা আবেদন করলে সেসব সুবিধা পাবেন বলেই ধারণা করি। খাবার -দাবারের মান ভাল থাকে বলছিলেন সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মি: হায়দার। সেটি কিরকম? "প্রত্যেক বন্দীর জন্য একটি বরাদ্দ থাকে। ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দীদের জন্য টাকার পরিমাণটি বেশি থাকে। যার কারণে চিকন চালের ভাত পান। সকালে রুটি, ডিম, কলা, ভাজি, বাটার, জ্যাম-জেলি চাইলে সেগুলোও দেয়া হয়। দুপুরে ভাত-মাছ/মাংস তাদের সাথে কথা বলে ঠিক করা হয়। কিন্তু সাধারণ বন্দীদের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ থাকেনা" মি: হায়দার জানান।" এর বাইরে আর কি ধরনের সুবিধা থাকে- জানতে চাইলে মি: হায়দার বলেন, ডিভিশনটাই বিশেষ সুযোগ-সুবিধা যা সাধারণ বন্দীরা পান না। সাধারণ বন্দীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাটিতে ঘুমায়। কিন্তু ডিভিশন-প্রাপ্ত বন্দীর জন্য খাট থাকে। তাদের সবকিছু সাধারণ বন্দীর চেয়ে আলাদা এবং ডিভিশন-প্রাপ্ত সকল বন্দী-ই এ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। | বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, কারাবিধি অনুসারে তাকে ডিভিশন-প্রাপ্ত বন্দীর মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | রোহিত শর্মা ও মাহেন্দ্রা সিং ধোনি মুখোমুখি আইপিএল ফাইনালে এই দুই দল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দুইবার জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়া মোট ২৭ বারের দেখায় মুম্বাই জিতেছে ১৬টি ম্যাচ, চেন্নাই ১১টি। এর এই মৌসুমে তিনবার দেখা হয়েছে এই দুইদলের, যেখানে তিনবারই মুম্বাই জয়ী। তবে একটা জায়গায় দুই দল সমানে সমান উভয় দলেরই তিনটি করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা আছে। তাই এই ম্যাচটি মূলত এগিয়ে যাওয়ার ফাইনাল ম্যাচ। ২০১০, ২০১১ ও ২০১৮ সালে তিনবার এই শিরোপা জেতে চেন্নাই সুপার কিংস। পড়তে পারেন: ক্রিকেট: মুস্তাফিজুর রহমান কি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছেন? ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: জার্সি নিয়ে অন্তরালে কী ঘটেছিল? বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ইমরুল কায়েস নেই কেন? ক্রিকেটার রোহিত শর্মা তার পঞ্চম আইপিএল শিরোপা থেকে এক ম্যাচ জয় দূরত্বে এছাড়া চারবার আইপিএলের রানার্স আপ হয় চেন্নাই। আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে আইপিএল শিরোপা জেতে। চেন্নাই সুপার কিংস অবশ্য ২০১৭ ও ২০১৮ এই দুই বছর আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ ছিল। এবার গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই মুম্বাই জয় পায়, এছাড়া প্লে অফের কোয়ালিফায়ারেও সহজেই চেন্নাইকে ৬ উইকেটে হারায় মুম্বাই। চেন্নাই সুপার কিংসের শক্তি কোথায়? চেন্নাইয়ের মূল শক্তিমত্তার জায়গা অভিজ্ঞতা। অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনী, শেন ওয়াটসন, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইমরান তাহির, রাভিন্দ্রা জাদেজা ও ডোয়াইন ব্রাভোর মতো নাম রয়েছে এই দলে। চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বাড়তি অভিজ্ঞতার যোগান দেন, ঠান্ডা মাথার কোচ হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে, সাথে যোগ হয় ধোনির ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা। মাহেন্দ্রা সিং ধোনি এই আইপিএলে তুলেছেন ৪১৪ রান, যা তার সর্বকালের সর্বোচ্চ আইপিএল রান। তিনবার আইপিএল শিরোপা জিতেছে চেন্নাই, এবারসহ আটবার উঠেছে ফাইনালে তার সাথে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছেন ফ্যাফ ডু প্লেসি, শেন ওয়াটসন, রাভিন্দ্রা জাদেজা ও মিচেল স্যান্টনার। এই দলটির গড় বয়স ৩৫, তারা টানা দুটো ফাইনাল খেলছে আইপিএলে। ১০ মৌসুমে মোট আটটি ফাইনাল খেলছে চেন্নাই সুপার কিংস। এই ম্যাচে যদি চেন্নাই জিতে যায়, তবে এটা হবে সুপার কিংস অধিনায়ক হিসেবে ধোনির ১০০তম আইপিএল ম্যাচ জয়। মুম্বাই কোথায় এগিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবার দুর্দান্ত একটা আইপিএল মৌসুম কাটিয়েছে। এতোটাই ভালো করেছে যে তারা কদাচিৎ প্রথম অবস্থান থেকে নিচে নেমে এসেছে এই মৌসুমে। এমনকি ফাইনালে জায়গাও করে নিয়েছে অনায়াসে, যার ফলে ফাইনালের চারদিন আগেই ভেন্যু হায়দ্রাবাদে তাবু গেড়েছে দলটি। গোটা দল হিসেবেই এবার ভালো করেছে মুম্বাই। মোচ চারজন ব্যাটসম্যান ৩০০ এর বেশি রান করেছে মুম্বাইয়ের হয়ে। আর পাঁচজন বোলার তুলে নিয়েছেন ১০টি বা তার বেশি উইকেট। বিশেষত হার্দিক পান্ডিয়া ও জাসপ্রিত বুমরাহ এবার দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন মৌসুম জুড়ে। জাসপ্রিত বুমরাহ'র ওপর ভরসা রাখবেন রোহিত শর্মা কিরন পোলার্ডের পরিবর্তে এবারের আসরে হার্ড হিটারের ভূমিকায় কাজ করেছেন পান্ডিয়া, এখন পর্যন্ত তুলেছেন ৩৮৬ রান। আর শেষ আট ওভারের জন্য অনায়াসে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা, লাসিথ মালিঙ্গা ও জাসপ্রিত বুমরাহ'র ওপর ভরসা রাখতে পারেন। যদি না জেনে থাকেন আইপিএল ফাইনালে সবচেয়ে বেশি রান করা সেরা চার ব্যাটসম্যানই চেন্নাই সুপার কিংসে খেলছে, সুরেশ রায়না, মুরলি ভিজেয়, মাহেন্দ্রা সিং ধোনি ও শেন ওয়াটসন। আইপিএল ফাইনালে আগে ব্যাটিং করা দল ৬৩.৬০ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স একমাত্র দল, যারা ৫০% এর বেশি ম্যাচ জিতেছে রোহিত শর্মা, হরভজন সিং ও আম্বাতি রাইডু যদি আজকের ম্যাচে জয় পায় তবে এটা হবে তাদের পঞ্চম আইপিএল শিরোপা যা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য সর্বোচ্চ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ইটালি যেতে গিয়ে সাগরে ডুবে বহু বাংলাদেশী নিহত 'পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ অলরাউন্ডার আমাদের মায়েরাই' পাকিস্তানের হোটেলে হামলাকারী তিনজনই নিহত | হায়দ্রাবারের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগ। তার বাবা মোঃ জাকির হোসেনের অভিযোগ, তার সবজি ব্যবসায়ী ছেলেকে তিনি পুলিশে হেফাজতে দেখেছেন সেদিন সন্ধ্যায় বেলায়। কিন্তু সেদিনই হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েছেন তাকে। বাংলাদেশে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার এই পরিবারটি বিবিসি বাংলার কাছে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সতর্কতা: যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেনতা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। মি. হোসেন তার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, "ধরেন রাত সাতটা সাড়ে সাতটার সময় থানায় গেছি। আমার ছেলেরে থানায় কাস্টডিতে দেখছি। খাবার দাবারও দিয়ে আসছি। রাত তিনটা সাড়ে তিনটায় তারা তাকে মেডিকেলে নিয়ে ফেলে গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলের সমস্ত শরীরে রক্ত।" হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান ছেলের দুই চোখ তুলে নেয়া হয়েছে। মি. হোসেন বলছেন, "ছেলেটা আমার বেঁচে আছে কিন্তু দুইটা চোখ ছেলের নাই। সে অন্ধ অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছে।" এই কথাগুলো যখন বলছিলেন তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করেন তিনি। জাকির হোসেন বলছেন এসব অভিযোগে পুলিশের একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তার পরিবারের করা একটি মামলা এখনো উচ্চ আদালতে রয়েছে। এই সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছেন মি. হোসেন। বাংলাদেশে পুলিশি নির্যাতনের শিকার এক তরুণ লিমন 'হ্যান্ডকাফ পরিয়ে পিলারের মধ্যে বন্দি করে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারা হয়' পুলিশি হেফাজতে একই ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মাদ ইমতিয়াজ হোসেন রকি এবং তার বড় ভাই। তিনি বলছেন, নির্যাতন সইতে না পেরে মারা যান তার ভাই। একটি সংঘর্ষের মামলায় তাকে ও তার ভাই ইশতিয়াক হোসেন জনিকে গ্রেফতার করার পর পুলিশি হেফাজতে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার অভিযোগে ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলছিলেন, "আমি আর আমার ভাইয়াকে দুটি হ্যান্ডকাফ পরিয়ে একসাথে একটা পিলারের মধ্যে বন্দি করে চারিদিক থেকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারা হয়। সাত আটজন পুলিশ মিলে ... মানে মানুষ কোন মানুষকে এইভাবে মারে না। তারা যেভাবে আমাদের দুই ভাইকে মারছে।" তিনি বলছেন, এরপর তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। এর পরপরই তার বড় ভাইয়ের বুকে ব্যথা ওঠে। তিনি বলছেন, "আমার ভাই যখন বুকের ব্যথায় চিৎকার করেছিলো, তখন তাকে পুলিশরা বের করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভাইয়া সেখানেই মারা যায়।" ২০১৪ সালের এই ঘটনায় তার করা একটি মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর এখনো কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন ইমতিয়াজ হোসেন রকি। এই দুটি ঘটনাই বাংলাদেশে গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত। বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতনের চিত্র নানা ধরণের নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ বন্ধে বাংলাদেশ সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার একটা পর্যালোচনা এখন চলছে জেনেভায় জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত এক কমিটির সামনে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সেখানে গেছে সরকারের পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরতে। অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের কথা তুলে ধরতে গেছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা। নির্যাতন বন্ধ সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদটি বাংলাদেশ অনুমোদন করেছিল বিশ বছর আগে। এই সনদটির পুরো নাম 'কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার এন্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট।' এই প্রথম এই সনদের অধীনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা হচ্ছে। এই সনদের অধীনে বাংলাদেশ নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ বন্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটি জেনেভা বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পেশ করার কথা। সরকার দাবি করছে এই লক্ষ্যে তারা এর মধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং আরও অনেক মানবাধিকার সংস্থা তা মানতে নারাজ। মীনাক্ষী গাঙ্গুলি: "বাংলাদেশে নির্যাতনের একটা সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে" নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে ধরণের নির্যাতন: এই বৈঠকের প্রাক্কালে হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে ধরণের নির্যাতন চলে তার একটি বিবরণ তুলে ধরেছে। তার কয়েকটি এরকম: • বন্দীদের রড, বেল্ট এবং লাঠি দিয়ে পেটানো • বৈদ্যুতিক শক্ দেয়া • ওয়াটারবোর্ডিং (মুখের ওপর পানি ঢালতে থাকা যাতে করে পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়) • সিলিং থেকে বন্দীদের ঝুলিয়ে পেটানো • ইচ্ছে করে বন্দীদের গুলি করা, বিশেষ করে পায়ের নীচের অংশে। এটিকে বলা হয় 'নীক্যাপিং।' এসব ঘটনাকে পুলিশ 'ক্রসফায়ার' বলে বর্ণনা করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলছেন, বাংলাদেশে এসব ঘটনা কোন বিচার হয়না বলেই নির্যাতনের একটি সংস্কৃতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে গেছে। তিনি বলছেন, "সিকিউরিটি ফোর্সের লোকেরা বলেন টর্চার ছাড়া নাকি তারা তদন্ত করতে পারে না। এই যে একটা মনোভাব এটা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। বাংলাদেশে যেটা সেটা হল টর্চার তাদের একটা রুটিন প্র্যাকটিসের মতো। তারা টর্চার এইজন্যেই করেন কারণ তারা এটা করতে পারেন। তারা ভাবেন তাদের এটা করার অনুমতি আছে।" তিনি আরও বলছেন, "বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি হিসেবেই যেন এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সেজন্যে শুধু বিরোধী মতে ব্যক্তিরাই শুধু নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভয় ঢুকে গেছে।" জেনেভায় জাতিসংঘের একটি কমিটির সামনে বাংলাদেশকে জবাবদিহিতা করতে হবে সরকার কী বলছে? জাতিসংঘের কমিটির সামনে বাংলাদেশ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে নির্যাতন বন্ধে এবং নির্যাতনের শিকার যারা হন, তারা যাতে ন্যায় বিচার পান সেই লক্ষ্যে অনেক পদক্ষেপ তারা নিয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে 'টর্চার এন্ড কাস্টডিয়াল ডেথ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট' নামে একটি আইন পাশ করে। কিন্তু এই আইনের অধীনে এ পর্যন্ত খুব কম মামলাই হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এর মধ্যে একটি মামলারও এখনো পর্যন্ত নিস্পত্তি হয়নি। তারা আরও বলছে, এই আইন পাশ হওয়ার পর অন্তত ১৬০ টি নির্যাতনের ঘটনার রেকর্ড আছে। প্রকৃত নির্যাতনের ঘটনা তাদের মতে আরও বেশি। | ২০১৭ সালের ১৮ই জুলাই। খুলনায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন পিরোজপুরের সুবিদপুর গ্রামের মোঃ: শাহজালাল। সেদিন ছিনতাই-এর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভারতে বাংলাদেশ দলের পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সফরের সূচী বিকেল নাগাদ এই ক্যাম্পে এসে হাজিরা দেবার শেষ সময়সীমা রয়েছে, কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যে ধর্মঘটরত কোন ক্রিকেটার এসে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, একাডেমি মাঠ কিংবা জিমনেশিয়ামের ত্রিসীমানার মধ্যেই এদের কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি বলে। অথচ বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মঙ্গলবার বিকেলেই এক সংবাদ সম্মেলন করে ভারত সফরের আগ মুহূর্তের এই ধর্মঘটকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেছিলেন, "আমি দেখতে চাই ইন্ডিয়া ট্যুরের আগে যে ক্যাম্প হবে তাতে কারা না আসে? কারা ইন্ডিয়া ট্যুর বানচাল করতে চায়"? সকালে ট্রেনার মারিও ভিলাভারানে উপস্থিত ছিলেন, সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। ২৪শে অক্টোবর অর্থাৎ কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবার কথা ছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড। কিন্তু কোনো ভেন্যুতে দল যায়নি। অনুশীলন ক্যাম্পে আসেননি একজন ক্রিকেটারও ভারত সফরকে সামনে রেখে এই ক্যাম্পের বাড়তি গুরুত্ব ছিলো। আর বেশিরভাগ ক্রিকেটার ম্যাচের মধ্যে ছিল তাই ফিটনেস নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার সুযোগ হয়নি। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ভারতের মাটিতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, ২০১৭ সালে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এই সিরিজে ৩ টি টি-টোয়েন্টি ও ২ টি টেস্ট ম্যাচ হবার কথা ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে। কোলকাতায় বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচ দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন বলেও কথা রয়েছে। ক্রিকেটারদের আলোচনার আহ্বান: ক্রিকেটারদের বিকেল পাঁচটায় আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর নির্বাহী পরিচালক নিজামুদ্দিন চৌধুরী। স্কোয়াডভূক্ত কোন ক্রিকেটারের সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যতদূর জানা যাচ্ছে তারা নিজেরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে একটি বৈঠক করছেন এখন। ধর্মঘট ডাক দেয়া ক্রিকেটারদের একাংশ তবে কোথায় এই বৈঠক চলছে, কখন নাগাদ শেষ হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ভারত সফরের স্কোয়াডে যারা আছেন: এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশিরভাগ সিনিয়র সদস্যসহ ত্রিশ জনেরও বেশি খেলোয়াড় একটি সংবাদ সম্মেলন করে এগারোটি দাবি তুলে ধরেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালও উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন। একইসাথে তারা ঘোষণা দেন, এই দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা কোন ম্যাচ কিংবা অনুশীলনে যোগ দেবেন না। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ওই সংবাদ সম্মেলনে না থাকলেও পরে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে ক্রিকেটারদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এমন সময় এই ধর্মঘটে গেলেন ক্রিকেটাররা, যখন আগামী মাসেই ভারতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এই ধর্মঘটের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। আরো খবর: স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও অব্যাহতি থাই রাজার সঙ্গী সিনিনাত যে কারণে পদবি খোয়ালেন দুনিয়া জুড়ে দেশে দেশে কেন এত বিক্ষোভ? কাশ্মীর নিয়ে সরব মাহাথির মূল্য দিচ্ছেন পাম তেলে? | আগামী মাসে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে আজ বুধবার যে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবার কথা, তাতে স্কোয়াডভূক্ত কোনো ক্রিকেটারই দুপুর নাগাদ এসে যোগ দেননি। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ম্যাপ বানিয়ে নিন, তাতে সুবিধা কিংবা পথ হারানো নিয়ে বন্ধুমহলে আলাপ বা কৌতুকের সময় সবাই কি আপনাকেই ইঙ্গিত করতে থাকে? যদি এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন লাভডের সাহায্য দরকার আপনার। তিনি বলছেন, দিক নির্দেশনা মনে রাখার জন্য আপনাকে আটটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেগুলো চর্চা করতে হবে। ১. নিজের যাত্রাপথ পরিকল্পনা করুন আপনার হাতে যদি ম্যাপ বা মানচিত্র থাকে, তাহলে সেটি দেখে নিজের যাত্রাপথটি সহজেই আপনি কল্পনা করে নিতে পারেন। দুশ্চিন্তা করে সময় নষ্ট করবেন না যেখান থেকে যাত্রা শুরু করবেন, সেখান থেকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত প্রতিটি মোড় এবং বাঁক পর্যন্ত পথে লক্ষণীয় বা বিশেষ কি কি স্থাপনা আছে, সেটি খেয়াল করুন। পথ হারালে তখন এই লক্ষণীয় স্থাপনাগুলোই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে। ২. রিল্যাক্স পথ হারাচ্ছেন বলে বা রাস্তা মনে রাখতে পারছেন না বলে অস্থির হবে না, রিল্যাক্স!! দুশ্চিন্তা মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এবং দিক নির্দেশনার স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে। কোথাও যাবার আগে আপনি যদি আগে থেকে পরিকল্পনা করতে পারেন, তাহলে আপনার আগাম দুশ্চিন্তা সহজেই লাঘব হতে পারে। ৩. মনোনিবেশ করুন কাজ করতে করতে অন্যমনস্কভাবে পথ চলবে না কথা বলতে বলতে রাস্তায় হাটা কিংবা মোবাইলে টেক্সট মেসেজ লিখতে লিখতে কেউ হাঁটলে কিংবা কিছু ভাবতে ভাবতে কেউ যখন পথ চল, স্বাভাবিকভাবেই যাত্রাপথে তার নজর থাকে না। ফলে পথ হারানো খুবই স্বাভাবিক। তাই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজন্য নতুন রাস্তায় যাবার সময় মন দিয়ে চারপাশের জিনিসপত্র খেয়াল করা দরকার। ৪. উল্লেখযোগ্য স্থাপনা খুঁজুন খুব পরিচিত অথবা একেবারেই উদ্ভট কোন বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করুন, যাতে অন্য কিছু দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা চিনতে পারবেন না. তখন সেটির কথা মনে পড়লে, বাকিটা চিনে নিতে পারবেন। প্রতিটি বাঁকে এসে মনে মনে মিলিয়ে দেখবেন যখন, আপনাআপনি মাথার মধ্যে একটা ম্যাপ তৈরি হয়ে যাবে। আবার আসলে এ জায়গা চিনবো তো? ৫. পথের দিকে খেয়াল রাখুন মানুষ সাধারণত সামনের দিকেই নজর রাখে, কিন্তু যারা পেছনে তাকান এবং কোন পথে এলেন পথে কি কি ফেলে আসলেন—একটু ফিরে এসব দেখে নেন, তারা রাস্তা চেনার ক্ষেত্রে ভালো করেন। এটা বিশেষ করে ফেরার পথে আপনার কাজে লাগবে। ৬. নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গে স্মৃতির যোগ নির্দিষ্ট কোন জায়গার সঙ্গে যদি আপনার কোন বিশেষ স্মৃতি থাকে, তাহলে সেই জায়গার কথা মনে রাখা সহজ হবে। বিশেষ করে ফেরার পথে সেটা আপনাকে সাহায্য করবে। হয়ত প্রথম যখন ঐ জায়গায় গিয়েছিলেন সেখানে আপনারা কথা বলছিলেন, কিংবা কেউ হয়ত গেয়ে উঠেছিল কোন গান। এসব ঐ জায়গা সম্পর্কে মস্তিষ্কে কিছু স্মৃতি জমিয়ে রাখে, একই পথে ফিরলে যে স্মৃতি আপনাকে পথ চিনিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ৭. ছবি তুলুন কোন জায়গায় যদি আপনাকে বারবার যেতে হয়, তাহলে মূল জায়গাগুলোতে ছবি তুলুন এবং পরে সেই ছবিগুলো খেয়াল করুন। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কিছু অনুশীলন প্রয়োজন বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, কোন স্থান চেনাতে ছবি এমনকি ভিডিওর চাইতেও বেশি কাজ করে। ৮. যাত্রাপথটি মনে রাখুন নিজের যাত্রাপথটি মনের মধ্যে গেঁথে নেবার চেষ্টা করুন, বারবার দৃষ্টিগোচর করার চেষ্টা করুন পুরো পথটি। এটি করার ফলে আপনার মস্তিষ্কের স্নায়ু শক্তিশালী হবে এবং আপনার স্মৃতি স্থায়ী হবে। এসব কিছু করার পরেও যদি দেখেন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, তাহলে স্মার্টফোনে স্ট্রিটভিউ বা গুগলম্যাপসের মত অ্যাপস তো রয়েছেই। স্মার্টফোনে বেশি বেশি জিপিএস ব্যবহার করার মানে হলো, নিজের স্বাভাবিক দিক নির্দেশনার ইন্দ্রিয় আপনি কম ব্যবহার করছেন। ফলে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা মস্তিষ্কের কিছু মানবিক অনুশীলনকে উৎসাহিত করেন। অন্যান্য খবর: যেখানে অভিনেত্রী ও পুলিশ প্রধানও গুম হয়ে যায় দুর্গা পূজা যেভাবে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো গাঁজা ও জাস্টিন ট্রুডোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি | আপনি কি প্রায়ই রাস্তা হারান? কোন রাস্তা চেনার নির্দেশনা অনুযায়ী ধরুন পয়েন্ট এ থেকে বি তে না গিয়ে, আপনি কি পি কিউ কিংবা আর এ গিয়ে উদভ্রান্ত হয়ে পড়েন? |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | টয়লেট পেপারের দাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে আইসল্যান্ডে মার্কিন রিটেল জায়ান্ট কস্টকো এ বছরের গোড়ার দিকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকিয়াভিকে তাদের প্রথম শপিং ওয়ারহাউস বা বিপণিটি চালু করে। এই স্টোরটি চালু করাকে কেন্দ্র করে সেখানে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনাও তৈরি হয়। কিন্তু আইসল্যান্ডের নিজস্ব টয়লেট পেপার সংস্থা পেপকো এই উদ্দীপনায় শরিক হতে পারছে না - কারণ তারা বলছে কস্টকোর বিপণিটি চালু হওয়ার পর তাদের বিক্রি অন্তত তিরিশ শতাংশ কমে গেছে। পেপকোর আলেক্সান্ডার কারাসন আশঙ্কা করছেন তার সংস্থার ভবিষ্যৎ খুব অন্ধকার - এবং তারা এর মধ্যেই বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছেন। এর প্রধান কারণ হল কস্টকো আইসল্যান্ডে যে দামে টয়লেট পেপার বেচছে সেই দামে তাদের পক্ষে বেচা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় একটি সংবাদপত্রর কাছে মি কারাসন আরও দাবি করেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশে কস্টকো যে দামে টয়লেট পেপার বেচে, আইসল্যান্ডে তার চেয়ে অনেক কম দামে তারা তা বেচছে। "কিন্তু আমাদের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়, কারণ টয়লেট পেপারের যেটা মূল কাঁচামাল - সেই কাগজটা আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারের দামেই কিনতে হচ্ছে", বলছেন মি কারাসন। কস্টকো একটি পাইকারি বা হোলসেল শপিং ক্লাবের ধাঁচে ব্যবসা করে - এবং ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী আইসল্যান্ডের ৮০০০০ মানুষ, বা জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ এর মধ্যেই তাদের গ্রাহক হয়েছেন। কিন্তু আইসল্যান্ডের স্থানীয় কোম্পানিগুলো এই প্রতিযোগিতার মুখে যে বেশ সমস্যায় পড়েছে, টয়লেট পেপার শিল্পের হাল থেকেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। আমাদের পেজে আরও পড়ুন : 'যেথায় কাজ আছে, সেথাই চলি যাবো' প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা 'শোক দিবসে ছাত্রদের পড়া বোঝানো কি অপরাধ?' গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ | আইসল্যান্ডে কেবল একটি মাত্র সংস্থাই টয়লেট পেপার বানায় - কিন্তু তারা বলছে মার্কিন প্রতিযোগীর দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে না-পারায় তারা ব্যাপক সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বৃহস্পতিবার গণভবনে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। দলটির নেতারা বলেছেন, তফসিল পিছিয়ে এই সময়ের মধ্যে তারা সরকারের সাথে ছোট পরিসরে আলোচনার মাধ্যমে তাদের নেত্রীর মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে একটা সমাধান চান। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট তাদের দাবিতে কর্মসূচিও অব্যাহত রাখার কথা বলছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বিরোধী জোটের দাবি নিয়ে তাদের আর কিছু করার নেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের সাথে সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে সংলাপ করেছেন। বিএনপির আশার মুকুল সংলাপ নিয়ে আশা জাগলেও এখন সেই আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এই বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি সংলাপে তাদের নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলে ছিলেন না। তবে বিএনপি নেতাদের যারা সংলাপে গিয়েছিলেন, গণভবনে সংলাপ শেষে তাদের চোখে মুখে অসুন্তুষ্টির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। যদিও ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড: কামাল হোসেন বলেছিলেন, ভাল আলোচনা হয়েছে। এদিকে আরও কয়েকটি দলের সাথে সংলাপ শেষে ৮ই নভেম্বরের পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখন এই তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দেয়ার দাবিকে সামনে আনতে চায় বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মি: আলমগীর বলেছেন, তারা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেই তফসিল পিছিয়ে তাদের মুল দাবিগুলোতে সমাধান চান। "আমাদের মুল বিষয়টা ছিল যে, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য একটা নিরপেক্ষ সরকার, এ ব্যাপারে কোন প্রতিশ্রুতিতো আসেনি। বরং যেটা এসেছে, সেটা হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ীই সবকিছু হবে। এটা আমার কাছে মনে হয় যে আবার আলোচনা করবেন হয়তো, করতে পারেন। কিন্তু সমস্যার সমাধানটা এটার মধ্যে আসছে না।" "সরকারের দায়িত্ব হবে, এই বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে দেখা। আর এর জন্য সময় নিতে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ করে তফসিলটা পিছিয়ে দেয়া। তাহলে সেই সময়টুকুও পাবে না। আর মানুষের মাঝে যতটুকু প্রত্যাশা আছে যে, একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে, সেটার কোন সমাধান হবে না।" বিএনপি তাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ৬ই নভেম্বর ঢাকায় জনসভা করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথাও বলেছে। বিএনপি এই সংলাপকে ব্যর্থ বলছে না কেন? যদিও দলটি মনে করছে, সংলাপে তাদের দাবিগুলো কার্যত নাকচ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে, সেটা তারা বলতে রাজী নয়। তারা সরকারের সাথে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাইছে বলে মনে হয়। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন যে সহিংস রুপ নিয়েছিল। সেই দায় এখনও বিএনপিকে বইতে হয়। দলটি এবার সে ধরনের পরিস্থিতিতে যেতে চায় না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও একটা ইতিবাছক ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছে। তাতে তারা অনেকটা সফল হয়েছে বলে দলটি মনে করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংলাপে সমাধান না হলেও এখনও তারা সরকারের কোর্টে বল দিয়েছেন, সরকারকেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে হবে। "সরকার সংবিধানের বাইরে যাবেন না বললেও এটাও বলেছেন যে, এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার মনে হয়, এখনই এটাকে ক্লোজ করা ঠিক হবে না। আমরাতো আশাবাদী। এই আলোচনার ব্যাপারটা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছি। শেষ সময়ে এসে তারা জবাব দিলেন বা এগিয়ে এলেন, তখন সময় খুবই কম। তো এখন তাদের দায়িত্ব হবে যে, তারা একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে চান কিনা?" সংলাপে বিএনপি তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোন সমাধানা পয়নি। সংলাপ নিয়ে কি দুই পক্ষই চাপে ছিল? বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, সরকার এবং বিরোধী জোট, দুই পক্ষেরই রাজনৈতিক কারণে এই সংলাপ প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনের আগে দু'পক্ষই দেখাতে চেয়েছেন যে, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগ এবং বিরোধীদল বিএনপি দুই দলেই সংলাপ বিরোধী অংশও রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লোকদেখানো এই সংলাপ হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। "ফলাফলের কোন পরিবর্তন হয় নাই।কিন্তু নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ফলাফল পরিবর্তন না হলে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া মুশকিল হবে।" আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলেছেন, বিএনপি সংলাপে যোগ দিয়ে সংবিধানের ভিতরে থেকে কোনো প্রস্তাব দিতে পারেনি।ফলে তাদের আর কিছু করার নেই। দলটির সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এখন নির্বাচনের দিকেই তারা এগুবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য আজ বলেছেন যে, বিএনপিসহ ঐক্যজোট চাইলে আরও আলোচনা হতে পারে। কিন্তু দুই পক্ষের ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে বিশ্লেষকদের সন্দেহ রয়েছে। | বাংলাদেশে সরকারের সাথে সংলাপের ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুল শরিক বিএনপি এখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আজ মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। পুলওয়ামায় হামলার পর ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে বেশ আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে ভারত আইসিসির কাছেও চিঠি দেয় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে না বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এই লড়াই। কাদের দিকে থাকবে চোখ? রোহিত শর্মা রোহিত শর্মা ব্যাটসম্যান, ভারত ভারত এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে হয়েছে পণ্ড। এই দুই ম্যাচে ১৭৯ রান তুলেছেন রোহিত শর্মা। একটি শতক ও একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন রোহিত। ভারতীয় দলের 'হিট ম্যান' হিসেবে পরিচিত রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের মঞ্চে বিরাট কোহলি ও সব মিলিয়ে বিরাট কোহলির রানের পার্থক্য বেশ খানিকটা, সেটাই যেন মিটিয়ে দেন রোহিত শর্মা। মোহাম্মদ আমির মোহাম্মদ আমির বোলার, পাকিস্তান পাকিস্তান বিশ্বকাপের জন্য যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করে সেই দলে ছিলেন না মোহাম্মদ আমির। ইংল্যান্ড সিরিজেও অসুস্থতার কারণে পাননি সুযোগ। কিন্তু যথারীতি বড় মঞ্চে বল হাতে পেয়ে আমির জাত চিনিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে ১০টি উইকেট নিয়েছেন আমির। তার চেয়ে বেশি উইকেট এই বিশ্বকাপে পেয়েছেন দুইজন। আরও পড়তে পারেন: ক্রিকেট: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে শক্তিমত্তার পার্থক্য বৃষ্টির কথা ভেবে রিজার্ভ ডে রাখা উচিত ছিল কি? যেসব ভুলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ মিচেল স্টার্ক যিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচ, পেয়েছেন ১৩টি উইকেট। প্যাট কামিন্সও ৫ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১১ টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান যখন বল করছে, মাঝপথে নিশ্চিত ৩৫০ এর বেশি সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মোহাম্মদ আমির ৩০৭ এ আটকে রাখেন অস্ট্রেলিয়াকে। ১০ ওভারে ২টি মেইডেন ও ৩০ রান দিয়ে নেন পাঁচটি উইকেট। বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নেয়া অষ্টম পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ আমির। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বরাবরই ভক্তদের আগ্রহ থাকে সবচেয়ে বেশি। ম্যাচের আগে দু দলের মুখপাত্ররা কী বলছেন বিরাট কোহলি, ভারতের অধিনায়ক, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অন্য যেকোনো ম্যাচের মতোই দেখতে বলেছেন তার সতীর্থদের। "খেলাটি উপভোগ করুন, এটা আরেকটা ক্রিকেট ম্যাচই," এমন বার্তা সতীর্থদের দেন কোহলি। মাঠে নামার আগে ভারতের অন্যতম দুশ্চিন্তা ছিল শেখর ধাওয়ানের চোট নিয়ে। কিন্তু এটা নিয়ে মোটেও ভাবতে চাননা বিরাট কোহলি। লোকেশ রাহুলের ওপর আস্থা রাখতে চান তিনি। সম্ভাব্য ভারতীয় একাদশ: রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, বিজয় শঙ্কর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল ও জাসপ্রীত বুমরাহ। "ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাতে পারলে সে অমর হয়ে থাকবেন," মিকি আর্থার,পাকিস্তানের কোচ। পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার বলছেন, পাকিস্তান যদি তিন বিভাগেই ভালো করে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সামলানো কঠিন হবে। "আমাদের নির্দয় হতে হবে, আমাদের আটকানো ভীষণ কঠিন। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যেতে হবে," বলছিলেন মিকি আর্থার। পাকিস্তানের পারফর্মারদের নিয়ে মিকি আর্থার বলেন, "আপনি ব্যাটসম্যানদের মাঝে রানক্ষুধা দেখতে পাবেন। বোলাররা ভালো করার জন্য লড়ছে। পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের এই ভালো করাটা চালিয়ে যেতেই হবে।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মুখ্যমন্ত্রী দাবী মানার পরও ধর্মঘটে অনড় ডাক্তাররা ঈদের মৌসুমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে কেন? ভাগ্নে অপহৃত, ফেসবুকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আল্টিমেটাম বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা ম্যানচেস্টার আবহাওয়া এখন ভক্তদের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যানচেস্টারের আবহাওয়া কেমন? এই ম্যাচ নিয়ে উদ্বেগের সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে আবহাওয়া। ম্যাচের একদিন আগেও দুপুরভর বৃষ্টি হয় ম্যানচেস্টারে। আবহাওয়ার পূর্বানুমান বলছে ম্যানচেস্টারে রোববার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খু্বই বেশি। যেটা ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ। তবে সেক্ষেত্রেও ম্যাচ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, ওভার কমিয়ে। তাপমাত্রা একটু বেশি থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে। ভারত ও পাকিস্তানের পতাকার রঙে মুখ রাঙিয়েছেন এক ভক্ত। ম্যানচেস্টারে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর্থকদের সমারোহ ম্যানচেস্টারে ম্যাচের দুই বা তিনদিন আগেই ভারত ও পাকিস্তান থেকে সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত ভক্ত জলিল চাচা ও ভারতের পতাকা গায়ে রাঙিয়ে ঘুরে বেড়ানো সুধীরকে দেখা গিয়েছে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি ভক্তদের উৎসবে। হোটেলগুলোতেও এখন জায়গা মেলা মুশকিল। মাত্র ২৫,০০০ এর একটু বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ দেখতে আবেদন হয়েছে চার লাখ। প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ এই ম্যাচটি টেলিভিশন পর্দায় দেখার জন্য বসবেন। | ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিশ্ব ইজতেমা (ফাইল ছবি) গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে চলতি মাসের এক তারিখ পর্যন্ত চারদিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে মালয়েশিয়ার স্থানীয় মুসল্লি থেকে শুরু থেকে বাংলাদেশ, ব্রুনেই, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে তাবলীগ জামাতের বেশ কয়েকজন সদস্য ওই জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন। ওই জমায়েতে অংশ নেয়ার পর পরই মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের কয়েকজন নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর পর দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ সব ধরণের সমাবেশ এড়িয়ে চলতে জনগণকে সতর্ক করে দেন। আরও পড়তে পারেন: বেসামাল দ.কোরিয়া, সন্দেহের কেন্দ্রে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী করোনাভাইরাস: মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলবে? করোনাভাইরাস: প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর 'সুযোগ সংকীর্ণ' হয়ে আসছে মালয়েশিয়ার পার্লিসে জুমার নামাজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মুসলিম দেশে ধর্মীয় জমায়েত থেকে শুরু করে সব ধরণের জনসমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও বাংলাদেশে এরকম জমায়েতকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন না তাবলীগ জামাতের সদস্যরা। 'ধর্মীয় সমাবেশ এড়িয়ে চলার মতো কোন পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি' বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, এদেশে ভাইরাস সেভাবে ছড়ায়নি। "যেসব দেশে এটি বেশি ছড়িয়েছে - যেমন চীন, ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়া - তাদের পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। মালয়েশিয়ার মতো আমাদের দেশে এই ভাইরাস সেভাবে ছড়ায়নি। তাই এখানে জমায়েতে তেমন কোন ঝুঁকি আমি দেখছি না। এতে ভয় করার কিছু নেই" - বলেন তিনি। মাহফুজুর রহমান মনে করেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এর ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। তার মতে মালয়েশিয়াতে চীন ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের চলাচল বেশি হওয়ার কারণে ওই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হতে পারে। "মালয়েশিয়ার ওই জমায়েত থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে যে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে অন্য সব জমায়েত থেকেও এমনটা হবে" - বলেন তিনি। গত শুক্রবার থেকে তিনদিনব্যাপী পাকিস্তানে একই ধরণের ধর্মীয় সমাবেশ হয়। যাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি। সেই জমায়েতের উদাহরণ টেনে মি. রহমান বলেন, "লাহোরের সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮০টি দেশের অন্তত ৫০০০ জন বিদেশি নাগরিক ছিল । কই, ওখানে তো কোন সমস্যা হয়নি।" তবে দেশের বাইরে বিভিন্ন জমায়েতে অংশ গ্রহণের বিষয়টি যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয় বলে তিনি জানিয়েছেন । এ ব্যাপারে তিনি বলেন, "সরকার খুব প্রয়োজন ছাড়া বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা দিয়েছেন। সরকার তো আমাদের ভালোর জন্যই এই সতর্কতা দিয়েছেন। কেউ যদি যেতে চায় সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।" কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের একটি বড় সংখ্যক মানুষ মালয়েশিয়ার ওই জমায়েতে অংশ নেয়ায়, বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে দেশটির সরকারকে। গত এক সপ্তাহের মাথায় দেশটিতে নতুন করে ১৯০ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের বেশিরভাগই ওই বৈশ্বিক ইসলামী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের সমাবেশ-ফাইল ছবি। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নূর হিশাম আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানান, তাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪২৮ জনের মধ্যে ২৪৩ জন শ্রী পেটালিং মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়া বড় ধরণের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য তিনি সবাইকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান। এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে মালয়েশিয়ার পার্লিসে জুমার নামাজ স্থগিত ঘোষণা করার পাশাপাশি ধর্মীয় মাহফিলের ক্ষেত্রেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ওই সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। এর মধ্যে ৫০০ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। শনিবার ব্রুনেইয়ে নতুন করে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। তাদের অনেকেই মালয়েশিয়ার ওই জমায়েতে ছিলেন বলে জানা গেছে। সিঙ্গাপুরের আক্রান্ত কয়েকজন নাগরিকও ওই জমায়েতে ছিলেন বলে বলা হচ্ছে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস | মালয়েশিয়ার যতো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন - তাদের একটি বড় অংশই সেখানকার একটি ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারের জন্য অপেক্ষা। ফাইল ছবি স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে যে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোটে প্রায় একই ধরণের প্রবণতা দেখা গেছে। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মাঝে চরম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে এবং সেজন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোটাররা কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না। তারা নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিরুদ্ধেও ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন। দুই দল আবার একে অপরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দক্ষিণ পশ্চিমে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধীদল বিএনপির প্রার্থী ছিল। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের অংশ গ্রহণে নির্বাচনী প্রচারণাও জমেছিল। কিন্তু ভোটের দিনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। সেখানকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে স্থানীয় একজন সাংবাদিক মো: আবু তৈয়ব বলছেন, "পাইকগাছার উপজেলা নির্বাচনে সকাল ১২টা পর্যন্ত ১৫টা কেন্দ্রে দেখেছিলাম, যে কেন্দ্রে ৩,০০০ ভোট, সেখানে ভোট পড়েছে ১৯ বা ২০টা। আমি অতীতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন কাভার করেছি। তখন একটা গমগম পরিবেশ বা উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। এখনকার পরিবেশ একেবারে আলাদা। ভোটকেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে।" পাইকগাছায় ভোটের যা চিত্র ছিল, একই ধরণের খবর পাওয়া গেছে আরও সাতটি উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ব্যাপারে। আর ১৯২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীদের চেষ্টায় ভোটার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু গ্রাম পর্যায়ে এই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থী থাকলেও সাধারণত ভোটারদের যে ব্যাপক অংশ গ্রহণ থাকে, তার তুলনায় এখন ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি বেসরকারি সংস্থা ব্রতী'র শারমিন মুরশিদ বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে, সেজন্য ভোটারদের কাছে এখন কোন নির্বাচন নিয়েই আগ্রহ নেই। "নির্বাচনী যে ব্যবস্থা বা সুশাসনের যে ব্যবস্থা- এটা কিন্তু ধসে গেছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার অধীনে যে নির্বাচন হচ্ছে, তার প্রতি মানুষের আর এক বিন্দু আস্থা নেই। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে মানুষ ভোট দিতে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি। তো মানুষের ভেতরে এই বোধটা কাজ করছে যে আমি ভোট দিতে যাব কিসের জন্য-আমাকেতো ভোট দিতে দেয়া হবে না। এই আস্থাহীনতা বড় বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।" এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ঢাকার দু'টি সিটি করপোরেন নির্বাচনে ৩০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছিল। সর্বশেষ গত শনিবার জাতীয় সংসদের ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ১০.৪৩%। বিভিন্ন নির্বাচনে এই ভোটকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক অনেক কম বলে উল্লেখ করেছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা। তারা বলেছেন, মানুষের আস্থার সংকট এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এর দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায় বলে তারা মনে করেন। তবে এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন একজন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেছেন, "আমি মনে করিনা যে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতার কারণে ভোটাররা আসছেন না। কারণ নির্বাচন কমিশনতো এটুকুই করবে যে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে আসতে পারেন, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশন সেটা করছে। আমি বলবো, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে আর যারা আছেন, যেমন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং ভোটার-তাদেরও সক্রয়ি সহযোগিতা প্রয়োজন।" নির্বাচন কমিশন যেমন রাজনেতিক দলগুলোর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। পর্যবেক্ষকরাও বলেছেন, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোও দলীয়ভিত্তিতে হয়। সেগুলো থেকেও ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এমনকি প্রধান দুই দলের সমর্থকদেরও ভোট নিয়ে আগ্রহ কমেছে। পর্যবেক্ষকরা বিভিন্ন নির্বাচনে এমন চিত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। সেখানে দলগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যর্থতার অভিযোগ করছেন পর্যবেক্ষকরা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তবে বিরোধীদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিস্থিতির দায় চাপিয়েছেন সরকার এবং আওয়ামী লীগের ওপর। "পুরোপুরি কর্তৃত্ববাদী সরকার যখন থাকে, এবং সেটা যখন একটা দলকেই প্রমোট করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, তখন নির্বাচনী ব্যবস্থা শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য একটা টুল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।এটা মানুষ কয়েকটা নির্বাচনের মাদ্যমে টের পেয়ে গেছে। ফলে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে।" মি: আলমগীর আরও বলেছেন, "এতকিছুর পরও আমরা কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তাতে কি ঘটছে- এখনতো আমাদের জবাবদিহি করতে হয় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে যে কেন এই নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি?" মাহবুবুল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে রাজনৈতিক চিন্তা থেকে বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। "বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছে মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে। আর তাই তারা তাদের ভোটারদেরও ম্যাসেজ দিচ্ছে যে ভোট দেয়ার প্রয়োজন নেই। সেখানে শুধু আমাদের আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী হচ্ছে, তাদের পক্ষের ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে। যখন আওয়ামী লীগের ভোটাররাও দেখছে, মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ বা বিএনপি প্রার্থীর তৎপরতা নেই। তখন আমাদের ভোটারদেরও আগ্রহ কিছুটা কমে যায়।" এমন পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছেন, ভোটারদের আস্থার সংকট বা ধসে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে কবে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে, সেটা তাদের জানা নেই। | বাংলাদেশে মঙ্গলবার দুইশো'র বেশি এলাকায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কম কম ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পুলওয়ামায় এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের আত্মঘাতী হামলার পর বলা হয়, বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে কনভয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন এই আদিল আহমেদ দারই । ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৪০ জনেরও বেশী নিরাপত্তা কর্মী। মৃত্যু হয়েছিল আদিল আহমেদেরও। কিন্তু তার পরিচয় জানা যায় হামলার বেশ কয়েক ঘন্টা পরে, যখন পাকিস্তান ভিত্তিক উগ্রপন্থী সংগঠন জৈশ-ই-মুহম্মদ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে এত মানুষের প্রাণ নিতে চলেছে বলে আদিল আহমেদকে এতটুকুও চিন্তিত দেখায় নি ওই ভিডিওটিতে। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই ভিডিওটা যখন প্রকাশিত হবে, ততক্ষণে তিনি জান্নাতে পৌঁছে গেছেন। ২০১৮ সালেই জৈশ-ই-মুহম্মদের যোগ দেন পুলওয়ামারই বাসিন্দা আদিল, সেখানেই বড় হয়েছিলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পুলওয়ামা অনন্তনাগ লোকসভা আসনের অন্তর্গত এই আসনটিই ভারতের একমাত্র কেন্দ্র , যেখানে তিন দফায় ভোট নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কারণে। আদিল আহমেদ দার আদিল আহমেদ হাইস্কুল অবধি পড়াশোনা করেছিলেন। গতবছর মার্চ মাসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার আগে অবধি তিনি ছোটোখাটো কাজ করতেন। শান্তশিষ্ট আর বেশ লাজুক স্বভাবেরই ছেলে ছিলেন আদিল, এমনটাই বলছেন যারা তাকে চিনতেন, তারা। তার পরিবার বলছে, বুরহানওয়ানি নামের জনপ্রিয় এক উগ্রপন্থী নেতার মৃত্যুর পরে যে বিক্ষোভ হচ্ছিল, সেই সময়ে চোট পান আদিল। তারপর থেকেই ভারতের ওপরে তার ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আদিল আহমেদ সেই হাজার হাজার কাশ্মীরী যুবকদের একজন ছিল, যাদের জন্ম হয়েছে গুলি বন্দুকের আওয়াজের মধ্যে আর জীবন শেষও হল তারই মধ্যে। ১৯৮৯ সাল থেকে চলতে থাকা হিংসাত্মক ঘটনায় কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে ভারতের কড়া অবস্থানের কারণেই কাশ্মীর উপত্যকার অনেক যুবক অন্য পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন। আদিল আহমেদের বাবা গুলাম হাসান দার বিবিসি বাংলায় আরো খবর: নুসরাত হত্যাকান্ডের এক মাস: কিছু কি বদলেছে? চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ আরও জোরদার গাজীপুরের গ্রামে কংকাল চুরি, ঠেকাতে কবর পাহারা কঠোর ইসলামি আইনের দেশ ব্রুনেই আসলে কেমন? এইসব কড়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ছিল ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ। যে বিষয়টার উল্লেখ রয়েছে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও। এই সময়েই ছররা গুলি সবথেকে বেশী ছোঁড়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক থেকে। ওই গুলি লেগে শত শত মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ভারত অবশ্য ওই প্রতিবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। পুলওয়ামারই বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সী আব্দুল আহমেদ বাটের কথায়, "৯০ সালের পরে জন্ম হয়েছে যেসব কাশ্মীরীর, তাদের কপালে কখনই শান্তি জোটে নি। এদের জন্ম হয়েছে কার্ফুর মধ্যে, মৃত্যুও হচ্ছে কার্ফুর মধ্যেই।" তিনি আরও বলছিলেন যে ১৯৮৯ সালের আগের যে কাশ্মীরের কথা তার মনে আছে, তাকে যেন একটা স্বপ্ন বলে মনে হয় এখন। বর্তমান প্রজন্ম সেই সময়টা তো দেখেই নি কখনও। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ২০০০ সাল থেকে উগ্রপন্থী কার্যকলাপ ধীরে ধীরে কমছিল, কিন্তু ২০১৬ থেকে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর আবারও পুরোদমে শুরু হয়ে যায় তাদের রমরমা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ১৫০ সন্দেহভাজন উগ্রপন্থী মারা যায় আর দু'বছর পরে ২০১৮ সালে মারা যায় ২৩০ জন। বুরহান ওয়ানিকে ভারত সরকার উগ্রপন্থী বলে মনে করলেও স্থানীয়দের অনেকেই কাশ্মীরের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি বলে তাকে মনে করেন। বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পরে যে বিক্ষোভ চলেছিল, সেই সময়েই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি লাগে আদিল আহমেদ দারের পায়ে। তাকে প্রায় ১১ মাস বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছিল। তার বাবা গুলাম হাসান দারের কথায়, "ওই সময় হঠাৎই আদিল বদলে গেল। যে শান্ত, লাজুক ছেলে ছিল ও, সেটা যেন একটা আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠল। কিন্তু কোনওদিনই খোলাখুলি আলোচনা করে নি এগুলো নিয়ে।" কাশ্মীরে নিহত একজনের জানাজায় বিপুল সংখ্যক লোকের ভিড় পায়ে গুলি লাগার পর থেকে আদিল নিজের সময়টা ধর্মীয় আচার-আচরণ, ইন্টারনেট আর বন্ধু - এই নিয়েই কাটাতেন। আর কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে ২০১৮ মার্চ মাসে তো তিনি বাড়ি ছেড়েই চলে যান। কেউ কেউ বলেন, কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিমন্ডল নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিল আদিল। আদিলের এক আত্মীয় আলতাফ বলছিলেন, "তার রাগ ছিল একদিকে যখন উগ্রপন্থীদের মুরগীর মতো মারা হচ্ছে, অন্যদিকে কোনও হতাহত হচ্ছে না কেউ।" পুলওয়ামারই আরেক বাসিন্দা জিব্রান আহমেদ বলছিলেন, "উগ্রপন্থী তো আমাদের বাড়িতে তৈরি হয় না। থানা বা সেনা ছাউনিতে তৈরি হয়। ২০১৬ সালে পুলিশ যেসব যুবকদের গ্রেপ্তার করেছিল, তাদের বেশীরভাগই এখন উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোতে নাম লিখিয়েছে। হয়তো তাদের মনে হয়েছে যে প্রতিদিন এভাবে অপমানিত, নির্যাতিত হওয়ার থেকে সেটাই ভাল পথ।" থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন বলছেন, সমস্যাটার অন্যদিকটা হল হিংসাকে মহিমান্বিত করে তোলা হয় অনেক সময়ে। "বেশীরভাগ সমাজে হিংসায় অংশ নেওয়া মানুষদের সমাজ ভাল চোখে দেখে না। কিন্তু কাশ্মীরে ব্যাপারটা উল্টো। লোকে যখন পাথর ছুঁড়ছে, অস্ত্র তুলে নিচ্ছে, তখন কি সরকার চুপচাপ বসে থাকবে?" প্রশ্ন মি. সারিনের। তবে কাশ্মীরের এক পুলিশ কর্মী, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছিলেন, ভারত যে পদ্ধতি নিয়েছে, তা তো সফল হচ্ছে না দেখাই যাচ্ছে। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জনতার সংঘর্ষ "আপনি একজন উগ্রপন্থীকে মারলেন তো আরও দু'জন উগ্রপন্থায় নাম লেখাতে তৈরি হয়ে গেল। রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা না করে উগ্রপন্থীদের মেরে ফেলার ওপরে ইদানিং জোর দেওয়া হচ্ছে বেশী," বলছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ অজয় সাহানীর মতে - "ভারতীয় জনতা পার্টি কাশ্মীর উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। গোটা ভারতের জন্য উপত্যকা যেন একটা শত্রু মনোভাবাপন্ন অঞ্চল। এটা একটা সফল নির্বাচনী রণনীতি হতে পারে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে একেবারেই ভুল স্ট্র্যাটেজি।" ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান, জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখেন। তিনি বলছিলেন, "কাশ্মীরে কতসংখ্যক তরুণ, যুবক উগ্রপন্থীদের দিকে চলে যাচ্ছেন? তার থেকেও অনেক বেশী কাশ্মীরী ছাত্রছাত্রী সারা ভারতের নানা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য যাচ্ছেন। অনেক কাশ্মীরী খুব ভাল ফুটবল খেলছেন জাতীয় স্তরে বা নানা রাজ্যের দলগুলোতে।" "জম্মু-কাশ্মীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি বলে আর্মির যে রেজিমেন্ট রয়েছে, সেখানে নতুন নিয়োগ হচ্ছে - বহু কাশ্মীরী বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন, প্যারামিলিটারি ফোর্সগুলোতে যোগ দিচ্ছেন। এ দিকটা তো কেউ ভেবে দেখছেন না!" আদিলের বাবা গুলাম হাসান দারও চান না তার ছেলের পথে অন্য কোনও তরুণ বা যুবক হাটুক। "আমি তো জানতাম ছেলে আমার সব কথা মেনে চলে । কিন্তু সেই ছেলেই কী করে মানব বোমা হয়ে গেল, কিচুই বুঝতে পারলাম না," বলছিলেন আদিলের বাবা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ভারতের নির্বাচনে মোদী জিতলেই ভালো, বলছেন ইমরান | ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা-রক্ষীদের কনভয়ের ওপরে, তাতে আদিল আহমেদ দার নামের এক যুবকের নাম জড়িয়ে গেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল কি আসলেই অনিরাপদ? কিন্তু রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল কি সত্যিই অনিরাপদ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক নাজমা শাহীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে নির্দিষ্ট রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। মিজ. শাহীন বলেন, "ইথোফেন ব্যবহার করে ফল পাকালে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। এটি একধরণের গ্যাস যা ফলের ভেতরের এনজাইমকে প্রভাবিত করে যার ফলে দ্রুতবেগে ফল পাকে।" মিজ. শাহীন বলেন, উন্নত বিশ্বে বর্তমানে ইথোফেন চেম্বারে ফল রাখা হয়। সেই ফল বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নেয়ার পথে সাধারনত পেকে যায় ও খাওয়ার উপযোগী হয়। মিজ. শাহীন জানান সাধারণত ইথোফেন ব্যবহার করার নির্দিষ্ট মাত্রা ও সময়সীমা নির্ধারন করা থাকে। তবে আম ও কলার ক্ষেত্রে ইথোফেন ব্যবহারে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। "ক্রেতার হাতে যখন ফল যায় ততক্ষণে এই রাসায়নিক গ্যাস উড়ে যায়, আর যদি এর প্রভাব থাকে, তাতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ ফলের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরে রাসায়নিকের প্রভাব যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আর আমরা সাধারণত আম ও কলার খোসা খাই না," বলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে কেন এই সতর্কতা? ট্রাম্প - কিম বৈঠক: অনিশ্চয়তার চার কারণ যেভাবে শুরু হলো মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান 'রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হিন্দুদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে' যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে রাসায়নিক দিয়ে পাকানোর অভিযোগে গত কয়েকদিনে প্রায় কয়েক হাজার মণ আম নষ্ট করা হয় মিজ. শাহীন বলেন, স্বাভাবিকভাবে পাকানো আমের যে স্বাদ বা গন্ধ বা অন্যান্য গুণাবলী থাকে, রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো ফলের গুণাবলী সেই একই মানের হবে না। তবে ইথোফেন দিয়ে পাকানো আম শতভাগ নিরাপদ বলে নিশ্চিত করেন মিজ. শাহীন। একই নিশ্চয়তা দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হকও। বাংলাদেশের আইনে ফলে কার্বাইড ব্যবহার করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইথোফেন ব্যবহার আইনানুযায়ী সিদ্ধ বলে জানান মি.হক। মি. হক জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে আর্সেনিক বা ফসফরাসের অবশিষ্টাংশ ফলে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এজন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ফল পাকানোর কাজে কার্বাইড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ফল পাকানোতে ইথোফেন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ ও আইনসিদ্ধ। তবে ঢাকার পাইকারি বাজারে ফলে রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো একটি দলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, ইথোফেন ব্যবহারের বিষয়ে দুই ধরনের বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে। একটি অনুযায়ী ইথোফেন খুব বেশী ক্ষতিকর নয়, অপরটি মনে করে ইথোফেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ইথোফেন ব্যবহার আইনগতভাবে বৈধ হলেও ফলে কি পরিমাণ ইথোফেন ব্যবহার করা যাবে সেবিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই বলেও জানান মি. আলম। ফলে ব্যবহৃত রাসায়নিকের পরিমাণ ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে বেশী কিনা সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক। | রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল বাজারজাত ও বিক্রি করায় বাংলাদেশে গত কয়েকদিন বেশ কয়েকজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব ফল খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, এমন কারণ দেখিয়ে নষ্ট করা হয় কয়েক হাজার মণ আম। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | হামলার পর বন্দী শিবিরটির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন অনেকে। আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলছে, বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার এর নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। আরো পড়তে পারেন: লিবিয়ার সাগরতীরে ভেসে এসেছে ৮৭টি মৃতদেহ খালিফা হাফতারঃ লিবিয়ার নতুন নেতা? কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। যেগুলোর বেশিরভাগই দেশটির সংঘাত-পূর্ণ এলাকাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যার পর থেকেই সংঘাতের কারণে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। হামলা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? জরুরী সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলি জানান, হামলার সময় তাজুরা বন্দী শিবিরে ১২০ জন অভিবাসী একটি হ্যাঙ্গারে অবস্থান করছিলেন। ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলে হামলাস্থল তাজুরায় কাজ করছেন জরুরী সেবা কর্মীরা লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. খালিদ বিন আত্তিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, "প্রায় সব জায়গায় মানুষ ছিল। শিবিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে সেখানে মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। অনেকেই মানসিক আঘাতে হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগও।" "আমরা পুরো এলাকা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার পর যা দেখলাম তা ভয়ংকর ছিল। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। মানুষের শরীরের টুকরোও পড়ে থাকতে দেখেছি," তিনি বলেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, হামলা সম্পর্কে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। হামলার জন্য দায়ী কে? জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই "জঘন্য অপরাধ" "পূর্বপরিকল্পিত" ও "নিখুঁত"। তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা। এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে। বন্দী শিবিরের বাইরে জড়ো হওয়া অনেকেই ছিলেন উদ্বিগ্ন লিবিয়ায় যুদ্ধ কেন চলছে? কোন কর্তৃপক্ষই লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। চরমভাবে অস্থিতিশীল দেশটির নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক এবং সামরিক গোষ্ঠীর হাতে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রীর সারাজের নেতৃত্বাধীন এবং অপরটি জেনারেল হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত এপ্রিলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জেনারেল হাফতার। গত চার দশক ধরে লিবিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন জেনারেল হাফতার। ১৯৮০র দশকে মত বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনের আগ পর্যন্ত গাদ্দাফির কাছের মিত্র ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের আন্দোলনের পর দেশে ফিরে পূর্বাঞ্চলে নিজের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলেন তিনি। সমর্থন পান ফ্রান্স, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গাদ্দাফি সংশ্লিষ্টতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ থাকার কারণে তার প্রতি মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে বেনগাজি এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে কথিত ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিতাড়িত করায় অনেকে তাকে কৃতিত্ব দেন। লিবিয়ায় অভিবাসীরা কতটা অসহায়? লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেখানে মানব পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আফ্রিকা অঞ্চলের অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক ইউরোপগামী অভিবাসীদের বন্দী শিবিরগুলোর করুণ দশার চিত্র বারবারই তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। | লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির বাইরে একটি অভিবাসী বন্দী শিবিরে হামলায় অন্তত ৪০ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এই খবর জানিয়েছেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | হামলার বিষয়ে ব্রিফ করছেন কর্ণেল মালকি তারা বলছে আঠারোটি ড্রোন আর সাতটি ক্রুজ মিসাইল একটি জায়গা থেকেই ছোঁড়া হয়েছিলো কিন্তু এগুলো ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয়নি বলেই দাবি তাদের। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা অবশ্য আগেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শনিবারের ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটি যে কোনো হামলার স্বীকার হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছিলো যে ওই হামলার পেছনে ইরানই ছিলো। বুধবার সৌদি আরবে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একে 'অ্যাক্ট অব ওয়ার' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন এ ঘটনার জবাব দেয়ার জন্য 'অনেক বিকল্প' ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। "চূড়ান্ত একটি বিকল্প আছে এবং এছাড়া আরও বিকল্পও আছে। এবং আমরা দেখবো। আমরা শক্তিশালী অবস্থানে আছি"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সৌদিতে হামলা: বাংলাদেশে তেল সঙ্কট তৈরি করবে? সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনা সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তেল-ক্ষেত্রে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে কি প্রমাণ পেলো সৌদি আরব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রমাণাদি উপস্থাপন করে সৌদি আরব যাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়েছিলো। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি বলেছেন যারা যা উপস্থাপন করেছেন সেটিই প্রমাণ করে হামলা এসেছিলো উত্তর দিক থেকে এবং সেটি 'প্রশ্নাতীতভাবেই ইরান দ্বারা পরিচালিত'। কর্নেল মালকি অবশ্য বলেন, তারপরেও তারা যেখান থেকে হামলা হয়েছে সেই পয়েন্টটি চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। যে সব ধ্বংসাবশেষ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে তারমধ্যে ইরানের ইউএভি বা চালকবিহীন উড়ন্ত বাহনের 'ডেল্টা উইং' ছিলো বলেও দাবি করা হয়। "কম্পিউটারে ইউএভি ডাটা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে এটি ইরানের", বলছেন মিস্টার মালকি। তিনি বলেন ১৮টি চালকহীন বাহন দিয়ে হামলা হয় আবকাইক তেল শোধনাগারে এবং সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে দুটি জায়গায়। এর মধ্যে চারটি খুরাইজ তেলক্ষেত্র ও তিনটি পড়ে আবকাইকে। কর্নেল মালকি বলেন যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সেগুলো এসেছিলো উত্তর অভিমুখে। তিনি ম্যাপ ও ক্ষয়ক্ষতির ছবিসহ আবকাইকে চালকবিহীন যানের হামলার ভিডিও প্রদর্শন করেন। তবে ঠিক কোথা থেকে হামলাটি এসেছে সে জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি বের করা মাত্রই প্রকাশ করা হবে। হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে সৌদি আরব ইরান কি বলছে? ইরানের দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে ইরানের একটি কূটনৈতিক নোট দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, "ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তা দ্রুতই ইরানের জবাবে পাবে"। রয়টার্স ইরানের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে বলেছে সংবাদ সম্মেলন দেখাচ্ছে যে সৌদি আরব ওই হামলার বিষয়ে 'কিছুই জানেনা'। ওদিকে ইয়েমেন হুতি বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বলছে স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবিগুলো বানানো এবং সৌদি আরব প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি চেপে গেছে। সামরিক মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারিয়া জোর দিয়ে বলেছেন যে হুতিরাই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আবার তেল উত্তোলন শুরু করে সৌদি আরব পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে যাচ্ছে? যদিও যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে বলেছে যে তাদের বিশ্বাস ইরানই হামলার পেছনে কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক জবাবে খুব একটা উৎসাহী নন। বুধবার তিনি বলেছেন সামরিক সংঘাতে জড়ানো সহজ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্য ঘটনার অভিজ্ঞতা হলো পরে এটি জটিল হয়ে উঠে। তবে সৌদি আরবের ব্রিফিং এর আগে মি. ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আরও তথ্য পাওয়া যাবে। ওদিকে মাইক পম্পেও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সাথে দেখা করে আলোচনা করেছেন। আর হামলার বিষয়ে তদন্ত করতে আসা জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরব ছেড়ে গেছেন। | তেল শোধনাগারে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শন করে সৌদি আরব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে এগুলো প্রমাণ করে ওই হামলায় জড়িত ছিলো ইরান। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | অপারেশনের পর মায়ের সাথে বসে আবুল বাজানদার। হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিবিসিকে জানান, তাদের রোগী কোন কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, তার কোন কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হতে পারছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার টের পায় যে আবুল বাজানদারের নির্ধারিত কেবিনটি ফাঁকা পড়ে আছে। দুই বছর চিকিৎসা নেয়ার পর মি. বাজানদার কেন হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না, সে সম্পর্কে ড. সেন বলেন যে তার সাথে কে বা কারা নাকি দুর্ব্যবহার করেছে এবং খাওয়া দিচ্ছে না। সেই জন্য তিনি হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। এ ব্যাপারে মি. বাজানদারের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। "কিন্তু কে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, বা কে তাকে খাওয়া দিচ্ছে না, এই ব্যাপারটা সে আমাকে জানাতে পারতো," ডা. সামন্ত লাল সেন বলছিলেন, "আমি দেখতাম কোন ডাক্তার বা নার্স এর জন্য দায়ী। কিন্তু সে কাউকে কিছু না জানিয়ে যে এভাবে চলে যাবে, তা মোটেই আশা করিনি।" আবুল বাজানদার, অপারেশনের আগে। আরও দেখুন: মাদক বিরোধী অভিযানে পাচারের বিরুদ্ধে কতটা নজর দেয়া হচ্ছে? মমতাকে এড়িয়ে কেন তিস্তা চুক্তি করবে না ভারত মাদকবিরোধী অভিযান: প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি মি. বাজানদার গত ১০ বছর ধরে হাত-পায়ে শেকড়ের মতো গজিয়ে উঠা বিরল এক জেনেটিক রোগে ভুগছিলেন। গত দু'বছরে তার ওপর মোট ২৫ দফা অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে হাসপাতালে আটকে থাকার আশঙ্কা থেকেই আবুল বাজানদার চলে যেতে পারেন কি না, সে সম্পর্কে ডা. সেন বলেন, তার রোগটি যে আবার ফিরে আসতে পারে এই কথাটি তিনি রোগীকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিয়মিত চিকিৎসা না হলে তাকে আগের মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। মি. সেন জানান, সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আবুল বাজানদারের জন্য তারা হাসপাতালের চাকরির কথাও ভাবছিলেন। খুলনার পাইকগাছার বাসিন্দা আবুল বাজানদারকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার নির্দেশ দেন। তার সব অপারেশন বিনামূল্যে করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মি. বাজানদার এবং তার পরিবারের বিনাখরচায়ে থাকা-খাওয়া এবং ওষুধপত্রের ব্যয় বহন করে। | ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন 'বৃক্ষ-মানব' বলে পরিচিত আবুল বাজানদার। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সুস্থ গরুর নাকের উপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব ১৭ সদস্যের একটি গবেষক দল ছয় বছরের অধিক সময় নিয়ে এই টিকা আবিষ্কার করেন। মি. হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই টিকা যে প্রক্রিয়ায় আমরা আবিষ্কার করেছি সেটাই ইউনিক। এর আগেও বাংলাদেশে টিকা তৈরি করা হয়েছে কিন্তু সেটা গবাদি পশুর এই রোগ সারাতে কাজ করে না বলে তিনি দাবী করেন। আর সেজন্যেই নতুন টিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই টিকা উদ্ভাবনের জন্য ইতিমধ্যে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বাংলাদেশে গবাদি পশুর খুরা রোগ খুব সংক্রমিত। এই রোগ হলে পশুর শুকিয়ে যায়, পর্যাপ্ত দুধ হয় না এবং মুখ থেকে লালা পরতে পারে। গবাদি পশুর বাচ্চা যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে সাধারণত মারা যায়। খামারিদের কাছে এই টিকা পৌছাতে এখনো দেড় বছর সময় লাগবে অধ্যাপক মি. হোসেন বলছিলেন, কোন কোন ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয় প্রতিটি ভাইরাস তারা চিহ্নিত করেছেন। এমনকি প্রতিটির জীবনবৃত্তান্ত তারা বের করেছেন। এর পরেই এর প্রতিকার হিসেবে তারা এই ভ্যাকসিন বা টিকার আবিষ্কার করেছেন। তিনি বলছিলেন এই টিকা খামারিদের কাছে সহজলভ্য হবে। এখন যে দামে তারা কিনছেন তার চেয়ে অন্তত ৩০% থেকে ৪০% কম দামে তারা কিন্তু পারবেন এবং পরবর্তীতে এর দাম আরো কমবে। তবে বাজারজাতকরণ বা খামারিদের কাছে এই টিকা পৌছাতে এখনো দেড় বছর সময় লাগবে। "আমরা আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য যেসব পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয় তার সবগুলো অনুসরণ করে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছি" বলছিলেন তিনি। আরো পড়ুন: বিএনপির নতুন, পুরাতন জোটে কেন ভাঙ্গন আবারো সামরিক শক্তি অর্জনের পথে জার্মানি যে কারণে বি চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল | বাংলাদেশে একদল গবেষক গবাদি পশুর জন্য সবচাইতে ভয়াবহ সংক্রামক খুরা রোগের টিকা আবিষ্কার করেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অ্যাড্ডি ব্র্যান্ড নামের এই পিলকে বলা হচ্ছে মহিলাদের ভায়াগ্রা। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে ভায়াগ্রা যেভাবে কাজ করে, এই পিলটি সেভাবে কাজ করবে না। ভায়াগ্রা পুরুষদের যৌনাঙ্গে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে যৌন উদ্দীপনা তৈরি করে। কিন্তু এই ওষুধটি মহিলাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক ক্রিয়া বাড়িয়ে যৌন উদ্দীপনা তৈরি করবে। অক্টোবর মাস থেকে ওষুধটি বাজারে আসবে। তবে পুরুষদের শরীরে ভায়াগ্রা যতটা কাজ করে, মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যাড্ডি ততটা কাজ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচেছ। তবে ওষুধটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্প্রাউট ফার্মা দাবি করছে পরীক্ষায় ভালো ফল দেখা গেছে। এর আগেও দুবার ওষুধটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এর কার্যকরিতা নিয়ে সন্দেহের কারণে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এছাড়া ঘুম-ভাব, এমনকি জ্ঞান হারানোর মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ ছিল। কিন্তু তৃতীয় বারের আবেদন পিলটি অনুমোদন পেয়েছে। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, এটি ব্যবহারের ঝুঁকি পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। এক পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০ তেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের আট থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত যৌন শীতলতায় আক্রান্ত। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। অ্যাড্ডি নামের এই পিলটি তাদের সাহায্য করতে পারে। | মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াবে এমন একটি ওষুধের উৎপাদন এবং বিক্রি অনুমোদন করেছে আমেরিকার ওষুধ প্রশাসন এফডিএ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে যাওয়া মেরিন ড্রাইভে এক ঘটনায় নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই'র) তরফ থেকে ভিন্ন-ভিন্ন ভাষ্য দেখা যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে কাজ শুরু করেছে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। কী বলছে সামরিক গোয়েন্দারা? পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান নিহত পরদিনই সেনাবাহিনীর অ্যাডজুডেন্ট জেনারেল (এজি) শাখার ইস্যুকৃত দুই পৃষ্ঠার একটি নোট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। সেটির একটি কপি বিবিসি বাংলার কাছে রয়েছে। এই নোট যে এজি শাখার অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক চিঠি সেটি নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি বাংলা। সেনাবাহিনীর এজি শাখার সেই নোটে বলা হয়েছে, মেরিন ড্রাইভ এলাকার শামলাপুর অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ডকুমেন্টারি ফিল্ম-এর শুটিং শেষে পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইন-চার্জ এসআই লিয়াকত জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার বিবরণী বিশ্লেষণ করে সেনা সদর কিছু মতামত পোষণ করেছে। সেনা সদর মনে করে, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করার পরপরই তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে ঘটনাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা বলে অনুমেয়। সেনা সদরের মতামতে আরো বলা হয়েছে, "করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখ সারিতে থেকে দেশের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।" "তাই ভবিষ্যতের দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যে কোন ধরণের ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর লক্ষ্যে যৌথ তদন্ত কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা।" সেনা সদরের অ্যাডজুডেন্ট জেনারেল শাখার এই দাপ্তরিক নোট ছাড়াও কক্সবাজার থেকে পাঠানো ডিজিএফআই'র একটি রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসি বাংলার কাছে ডিজিএফআই'র সেই রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ডিজিএফআই'র সে রিপোর্টেও বলা হয়েছে, কোনরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে করে হত্যা করা হয়েছে। সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় পুলিশ ও ডিজিএফআই পরস্পরবিরোধী ভাষ্য দিচ্ছে সে রিপোর্টে বলা হয়, কর্তব্যরত পুলিশের এসআই যা করেছেন সেটি সামরিক বাহিনীর প্রতি 'অশ্রদ্ধা ও ক্ষোভের বহি:প্রকাশ'। ডিজিএফআই'র রিপোর্টে বলা হয়, "টেকনাফ থানায় মাদক নির্মূলের নামে পুলিশ সদস্যদের মাঝে হত্যার প্রতিযোগিতা চলমান, যা অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো দিবে বলে ধারণা করা যায়।" পুলিশ কী বলছে? টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সিনহা মো. রাশেদ খান এবং তার সাথে গাড়িতে থাকা সিফাত পরস্পর যোগসাজশে সরকারি কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান করেছে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করার জন্য তাক করা হয়েছে। সেই মমালায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৩১ শে জুলাই ২৩:১৫ ঘটিকা, এবং এজাহার দায়ের করা হয়েছে ১ আগস্ট ০১:৩৫ ঘটিকা। সেখানে আসামী করা হয়েছে সাহেদুল ইসলাম প্রকাশ সিফাতকে। এজাহারে সংবাদদাতা এবং অভিযোগকারীর উল্লেখ করা হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত। এবং এই মামলা দায়ের করা কপিতে সাক্ষর করেছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইন চার্জ প্রদীপ কুমার দাশ। এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, সিলভার রংয়ের একটি প্রাইভেট কার পুলিশ চেকপোস্টের সামনে আসতে দেখে সেটিকে থামানোর জন্য সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু সে গাড়ির চালক সংকেত অমান্য করে চেকপোস্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযোগ আরো উল্লেখ করা হয়, গাড়িটির গতিরোধ করে হাত উঠিয়ে বের হবার জন্য বলা হলে গাড়ীর চালকের সীটে বসা একজন ব্যক্তি তার আসনে বসে তর্ক শুরু করে। অভিযোগে আরো বলা হয়, " ড্রাইভিং সিটে বসা সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়দানকারী ব্যক্তি কিছুক্ষণ তর্ক করে গাড়ি থেকে নেমে এক পর্যায়ে তিনি হঠাৎ করে তার কোমরের ডান পার্শ্ব হতে পিস্তল বাহির করে গুলি করার জন্য উদ্যত হলে আইসি স্যার নিজের ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার্থে সাথে থাকা তাহার নামে সরকারি ইস্যুকৃত পিস্তল হইতে চার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।" সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এই কমিটিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানের নামে 'ক্রসফায়ারে মৃত্যুর' রেকর্ড অভিযোগ: মাদক বিস্তারের দায় এড়াতেই 'বন্দুকযুদ্ধ' বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে পুলিশের ভাষ্যই বিশ্বাস করবে মিডিয়া? “বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে স্বাধীন তদন্তের সুযোগ নেই” | বাংলাদেশের কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে সরকার যে কমিটি গঠন করেছে সেটি মঙ্গলবার কাজ শুরু করেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বন্যার পানির তোড়ে ভেঙ্গে পড়ে কুড়িগ্রামের টগরাইহাটের এই রেলসেতু। সরকারি হিসাবে, বন্যায় দেশের ৩৫ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণভাবে আর ২৮০ কিলোমিটার বাঁধ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বড় অংশ রয়েছে কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রামে অনেকগুলো নদী থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও রয়েছে বেশ কয়েকটি। কিন্তু এবার এমন অনেক এলাকায় পানি উঠেছে, যেখানে গত কয়েক দশকে কোনো বন্যা হয়নি। এর কারণ হিসাবে স্থানীয়রা নদী রক্ষা বাঁধগুলোর ভেঙ্গে যাওয়াকেই দায়ী করলেন। কিন্তু বন্যা থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ দেয়ার পরেও কেন বন্যার ভোগান্তি? কুড়িগ্রামের বাংটুরঘাটে ধরলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঘুরে দেখা গেলো, অনেক স্থানে বিশাল বিশাল খাদ হয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রবল স্রোতের সাথে পানি আসায় বাঁধ ভেঙ্গে এ অবস্থা হয়েছে। বাঁধটি যখন ভাঙ্গে, তখন সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম। তিনি বলছেন "কয়েকদিন ধরে বাঁধের নদীর পাশে পানি বাড়তে আছিল। কিন্তু যখন ইদুরের গর্ত দিয়ে ঝিরঝির করে পানি এদিকে আসতে শুরু করলো, তখন আমরা মাটি, বালুর বস্তা দিয়ে সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটা বন্ধ করি, আরেকটা খুলি যায়। আমরা শখানেক লোক সারারাত ধরি চেষ্টা করলাম। মাটি দিলাম, বস্তা দিলাম, গাছপাতা দিলাম। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে হুরুম করে বাঁধ ভাঙ্গি ছুটি গেল। আর আমরাও যে যেটিকে পারলাম ছুটলাম।" তাঁর স্ত্রী আজিমুনন্নেসা বেগম তখন ঘরের মালামাল গোছগাছ করছিলেন। তিনি বললেন, "কদিন ধরিই বাঁধের ওইপাশে পানি বাড়ছিল। সোয়ামি গেছি বাঁধ ঠেকাতে। যখন হুনি, পানি ঢুকবার লাগছে, তখনি ছাওয়াল আর বালিশ কাঁথা নিয়ে বাঁধের উপরই গিয়ে উঠলাম।" যে বাঁধ ভেঙ্গে তাদের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, আশ্রয়ের জন্য তাদের আবার সেই বাঁধের উপরই এসে দাঁড়াতে হচ্ছে। গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহায়তা করছে। পুরো বাঁধজুড়ে দেখা গেল, অসংখ্য মানুষ সেখানে ছাপড়ার মতো ঘর বানিয়ে বাস করছেন। যতদিন নিজেদের ঘরবাড়ি ঠিক না হচ্ছে, ততদিন তাদের এখানেই থাকতে হবে। তাদের সঙ্গে রয়েছে তাদের হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু। বাঁধের উপর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা। তাঁরা বলছেন, বাঁধের উপর মানুষের বসবাস বাড়ছে, তাই খাবারের লোভে ইঁদুরও বেড়েছে। সব ইঁদুরের গর্ত (র্যাটহোল) অনেক লম্বা হয়। ফলে নদীর পানি বাড়লে এসব গর্তে ঢুকে তা আরো বড় করে ফেলে। আর এসব গর্ত যেসব স্থানে বাঁধের নীচের দিকে থাকে, সেখানে পানি ঢুকে বড় ফাটল তৈরি হয় বা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলে। বাঁধ দিয়ে হাঁটার সময় অনেকগুলো গর্ত দেখা গেলো। এর কিছু কিছু হয়তো ইঁদুরের তৈরি, আবার কিছু প্রাকৃতিক বা মানুষের কারণেও হতে পারে। বাঁধ ভাঙ্গার পর কিছু গর্ত বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নিয়মিত সংস্কার করা হলে কি এই পরিস্থিতি দাঁড়াতো? বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষা বা তদারকির দায়িত্ব যে সংস্থার, সেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীতে যখন পানি আসে তখন দুই দিকের পানির লেভেলের তারতম্যের কারণে পানি চুইয়ে আসে। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত মাটির বাঁধগুলো বন্যা ঠেকাতে পারে। কিন্তু এর বেশি হলে সেটা ভেঙ্গে যায়। আবার অনেক সময় বাঁধের ভেতর ছোট ছোট ফাঁকা থাকে। সেটা নানা কারণেই হতে পারে। পানি বা বাতাস চলাচল, ইঁদুরের যাতায়াত অনেক কারণে হতে পারে। জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ২১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ২৩ কিলোমিটারের এখন ক্ষতিগ্রস্ত। জায়গায় জায়গায় পুরো বাঁধ ভেঙ্গে পানির মধ্যে তলিয়ে গেছে। ফলে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলেই এসব স্থান থেকে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। কিন্তু ধরলার ডান তীরের বাঁধ ভেঙ্গে পানি এমন সব জায়গায় ঢুকে পড়ে, যেখানে গত কয়েক দশকে কোনো বন্যা হয়নি। কুড়িগ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, বন্যায় বালু জমে আছে। কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কটিও অনেক দিন পানির নিচে তলিয়ে ছিল। স্থানীয়রা জানালেন, নদীর পানি বাড়তে শুরু করার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড আর স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা সেখানে এসেছিলেন। তারা বেশ কিছু গর্ত, ফাটল চিহ্নিত করে সেখানে বালুর বস্তা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ, এসব কাজ হয়েছে একেবারে শেষ বেলায়, যখন আর কোনো উপায় নেই। আগে থেকে যদি বাঁধের নিয়মিত সংস্কার করা হতো, তাহলে মানুষের এই ভোগান্তি হতো না। স্থানীয় হলুখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলছেন, "বাঁধের দায়িত্ব ওয়াপদার। প্রতি বছর এটার মেরামত করার নিয়ম, কিন্তু তারা তা করে না। দুই-তিন বছর কিছু ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়, কিন্তু তারা মেরামতের বদলে বাঁধ চেচে আরো চিকন করে ফেলে। দক্ষিণ হলোখালা থেকে শুরু করে পাঙ্গারচর পর্যন্ত বহুকাল ধরে কোনো মেরামত হয়না। পানির চাপে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।" বাঁধগুলো যে ঠিকমতো সংস্কার হয় না, সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকেৌশলী শফিকুল ইসলাম বলছেন, "সর্বশেষ বড় ধরণের বাঁধের কাজ হয়েছিল ২০০৫-২০০৬ সালে। এর বড় কারণ বরাদ্দের অভাব। লোকবলেরও অভাব রয়েছে। তবে প্রতিবছরই কিন্তু আমরা জেলা পর্যায়ে কম-বেশি কাজ করি"। তিনি বলছেন, "এর আগে অনেক বাঁধ ভেঙ্গেছে, কিন্তু সেগুলো আর ঠিক করা হয়নি। ফলে সেখান থেকে অনেক এলাকায় পানি উঠেছে। কুড়িগ্রামে ২১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে, কিন্তু আগের বন্যায় বা নদীভাঙ্গনে এর মধ্যে ২৩ কিলোমিটার বাঁধই খোলা রয়েছে। ফলে সেখান দিয়ে পানি উঠেছে।" কর্তৃপক্ষ এখন বাঁধগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের চেষ্টা করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেবেন। সেই সঙ্গে তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাঁধের ওপর যে মানুষজন অবৈধভাবে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে, তাদের সরিয়ে দিয়ে বাঁধগুলোকে খালি করা হবে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে মার্কিন রণতরীর সংঘর্ষ ইটালির রাস্তা পরিষ্কার করছে নাইজেরিয়ার অভিবাসীরা প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রথম ধাপ, বেলফাস্টের নারীদের কথা চার বছরের জন্য বন্ধ হচ্ছে 'বিগ বেন' এর ঘন্টাধ্বনি | বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় সরকারি হিসাবে ৩০টি জেলার ১৭৯টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বলছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শুকবার বেলা ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা। এ সময় বক্তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই হামলার মানবতার বিরুদ্ধে হামলা। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান নেতাকর্মীরা। ওই সমাবেশে কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিক বাংলাদেশের মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়। ওই মিছিলে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। আরও পড়ুন: বিক্ষোভ মিছিল। মিছিল শেষে বিশ্ব মানবতার শান্তি প্রার্থনা করে বিশেষ দোয়া করেন মুসুল্লিরা। বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে ক্লান্ত তখন অবৈধ দখলদার ইসরাইল রমজানের মধ্যে আবারো দানবীয় রূপে আবির্ভূত হয়েছে। গত অর্ধশত বছর ধরে ইসরাইলী এমন বর্বরতা দেখালেও জাতিসংঘসহ বিশ্ব শক্তিগুলো কার্যকর কিছুই করছে না। এমতাবস্থায় বিশ্ব সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিক্ষোভে কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিক অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ৭৩ বছর পূর্বে ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে এই দিনেই দখলদার ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ১৪ই মে একটি কালো দিবস। অতএব, সরকারের এখন উচিৎ শুধু বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ না থেকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মতো মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা। এদিকে, ফিলিস্তিন যেন চলমান আগ্রাসন থেকে মুক্তি পায় এবং সেখানে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠা পায় এই কামনায় ঈদের নামাজেও বিশেষ দোয়া করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ঈদের নামাজ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, "ফিলিস্তিনবাসীর ওপর পবিত্র ঈদের পূর্ব মুহূর্তে আক্রমণ হয়েছে। এর নিন্দা জানাই এবং ফিলিস্তিনে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় সেটি প্রার্থনা করি।" পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা শুরু হয়। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। আহত হয়েছেন ৫৮০ জন। অন্যদিকে এই সংঘাতে সাত জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে ঈদের জামাতের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকায় চলছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কিন্তু এই উৎসব যখন চলছে, ঠিক সে সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্ররা প্রদর্শকরা আবারো অভিযোগ করেছেন, দেশে তৈরি চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের অনাগ্রহ তাদের ব্যবসাকে চরম অস্তিত্বের সঙ্কটে ফেলেছে। তারা বলছেন ২০১৭ সালেই বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে ৬২টি চলচ্চিত্র, কিন্তু দর্শক টানতে পেরেছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি বলছে, দর্শকের অভাবে অব্যাহত লোকসানের জেরে গত দেড়-বছরের ৩০টির মত সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে দেশে। অর্ধশত-বর্ষী ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমাহলের মালিক ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ বিবিসিকে বলছেন, যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে হল চালাতে হচ্ছে, ভবিষ্যতে আর কতদিন টিকিয়ে রাখা যাবে সেটি নিয়ে তিনি এখন সন্দিহান। "চল্লিশ বছরে এমন সাফার করিনি। গত দশ বছরে যা করছি। এখন যে সিনেমাগুলো হচ্ছে তা প্রদর্শনের উপযোগী না। গত বছর মাত্র তিনটি ছবি ব্যবসা করেছে। ৫২ সপ্তাহের মধ্যে মাত্র তিনটি ছবি বাণিজ্যিক সাফল্য ফেলে তো আমাদের চলবে না।" "আর্টিস্টরা যারা মারা গেছেন বা যারা অবসরে গেছেন সেই শূন্যতা পূরণ হয়নি ... আমরা এখন আইসিইউতে আটকে আছি"। তিনি বলেন, ঢাকার ফিল্ম জগতের লোকজনকে এখন মেনে নিতে হবে যে তারা ব্যবসাসফল ছবি দিতে পারছেন না। "আমরা চাচ্ছি ভারতীয় ছবি যেন সরকার এখন ছেড়ে দেয়। এই যে কিছুদিন আগে চালের স্বল্পতা দেখ গিয়েছিল। স্বল্পতা দেখা দিলেই কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তেমনিভাবে আমরাও চাচ্ছি যে, বছরে অন্তত ২০/২৫টা ছবি যেন সরকার যদি আনতে দেয়"। তিনি বলেন, ছবিগুলো যদি একসাথে ভারতের সাথে মুক্তি দেয়া হয় তাহলে ছবিগুলো ব্যবসা করবে এবং হলগুলো বাঁচবে। তা নাহলে, মি নওশাদ বলেন, হল ভেঙে ফেলার কথাই তাদের চিন্তা করতে হবে। "এর চেয়ে ভালো আমরা হল ভেঙে ওখানে যদি সুপার মার্কেট করি তাহলে আরও পয়সা পাবো"। তিনি জানান, গত ছয়মাস ধরে তারা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমত বেতন দিতে পারছেননা। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে তিনি উল্লেখ করেন। দর্শক টানতে পারছে না ঢাকার ছবি অথচ প্রযোজক সমিতির তথ্য, বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ৬২ টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তারপরও হলগুলোর মালিকদের বক্তব্য এতটাই হতাশাজনক। কিন্তু এসব সিনেমা কেন দর্শকদের হলে যেতে আগ্রহী করতে পারছে না? এ প্রসঙ্গে উঠে আসে সিনেমার নির্মাণ দুর্বলতা, কাহিনীর বৈচিত্রহীনতা, হলের মানসম্পন্ন পরিবেশের অভাবসহ নানা বিষয়। কোনও কোনও দর্শক মনে করছেন, কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। অনেকের কথাতেই ঘুরেফিরে উঠে আসে মনপুরা, অজ্ঞাতনামা, ঢাকা অ্যাটাক ভুবন মাঝি সহ হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমার কথা। অনেকগুলো ব্যবসা সফল সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক সোহানুর রহমান সোহান বলছিলেন, "সিনেমা দেখানোর জন্য সিনেমা হল নেই। আর সিনেমা বানানোর জন্য প্রডিউসার নেই। কারণ সিনেমা পাইরেসি হয়ে যায়। এসব চিন্তা থেকেই মেইনলি যারা ছবি বানাতো, সিনেমা যারা ভালোবাসতো, ছবির প্রতি যাদের প্রেম ছিল সেখান থেকে তারা সরে গেছে"। দেশের সিনেমার জন্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিচালক প্রযোজকরা মনে করছেন স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত ভারতীয় সিনেমাকে। আর সমালোচকরা বড় করে দেখছেন মানসম্পন্ন সিনেমার সংকট এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মানসিকতার অভাবকে। চলচ্চিত্র সমালোচক অধ্যাপক জাকির হোসেন রাজু বলছিলেন, "একেতো বিশ্বমানের সিনেমা নির্মাণ করে দেখানো সেটার অনেক অভাব রয়েছে, অন্যদিকে সিনেমা দেখার বিকল্প অনেকগুলো এভিনিউ হয়েছে। শুধুমাত্র স্যাটেলাইটে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো, গ্রামের দিকে এবং ঢাকার আশে-পাশে অনেকেই মোবাইলেও সিনেমা দেখছেন"। তিনি বলেন নতুন অনেক নির্মাতারা আসছেন তবে তাদের মধ্যে অনেকেই একটি বা দুটি সিনেমার পরই হতাশ হয়ে মনোযোগী হচ্ছেন বিজ্ঞাপন নির্মাণের দিকে, কারণ সেটি লাভজনক। বর্তমানে সিনেমায় কারিগরি প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ছে, বাড়ছে বাজেটের আকারও। কিন্তু তারপরও আশি বা নব্বইর দশকের ছবিকে এখনো এগিয়ে রাখছেন মধ্যবয়সী দর্শকেরা অনেকেই। আর এই প্রজন্মের দর্শকেরা তাদের মান সম্পন্ন সিনেমা দেখার তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন এই ধরনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আঙিনায় এসে। | ঢাকায় চলছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব যেখানে ৬০টিরও বেশি দেশের দুশোর ওপরে সিনেমা দেখানো হচ্ছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এই ছবিটি নিয়ে বেশ কদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক চলছে বৃহস্পতিবার রাতে কন্যা খাতিজার বোরখা পরাকে সমর্থন করে তিনি টুইট করেছেন, 'ফ্রিডম টু চুজ', অর্থাৎ পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা বলে। স্ত্রী আর দুই মেয়ের সঙ্গে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানির ছবিটি টুইটারে প্রকাশ করে মি. রহমান লিখেছেন, "আমার পরিবারের তিন অমূল্য নারী খাতিজা, রাহিমা এবং সায়রার সঙ্গে নীতা আম্বানিজি।" তার নিচেই হ্যাশট্যাগ করেছেন 'ফ্রিডমটুচুজ'। ওই ছবিটিতে স্ত্রী এবং এক কন্যা রাহিমার মুখ দেখা গেলেও আরেক কন্যা খাতিজা কালো রঙের একটি বোরখা পরে রয়েছেন। তার মুখও ঢাকা রয়েছে ছবিটিতে। ক'দিন আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যমে কন্যা খাতিজার বোরখা পরা নিয়ে যে বিতর্ক চলছিল, মি. রহমানের নতুন টুইটের পরে তা আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একদল বোরখা পরা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করছেন, অন্য দল মি. রহমানের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা প্রত্যেকেরই রয়েছে বলে। ''মহাভারত'' নামের এক টুইট ব্যবহারকারী মি. রহমানের টুইটের জবাবে লিখেছেন, "প্রথমত খাতিজা-জীর নিশ্চয়ই ডিনার করতে বেশ অসুবিধা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, খাতিজা-জী তার বদলে অন্য যে কাউকেই পাঠিয়ে দিতে পারতেন, কেউ চিনতে পারত না।" এই টুইটে ব্যঙ্গটা স্পষ্ট। বিতর্কের কেন্দ্রে : বাঁ থেকে দুই মেয়ে খাতিজা ও রহিমা, নীতা আম্বানি, এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা তবে ''মহাভারত''কে জবাবও দিয়েছেন শ্রীরাম ভি নামে আরেক টুইট ব্যবহারকারী। তিনি লিখছেন, "নিম্ন রুচির পরিচয় দিলেন ভাই। রাজপুত নারীরাও তো মাথায় ঘোমটা দিয়ে থাকে, তারাও নিজেদের মুখ দেখান না কাউকে। হিন্দু ধর্ম সব ধর্মকে সম্মান করে। সেজন্যই এখানে সব ধর্মের সহাবস্থান রয়েছে।" এ আর রহমানের টুইটটি এখনও পর্যন্ত হাজার মানুষ লাইক করেছেন, রিটুইট করেছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আর মন্তব্য করেছেন দুই হাজার দুশো ব্যক্তি। সব মন্তব্যগুলিই যে শালীন, তা নয়। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: ভারতে 'বন্দে মাতরম' নিয়ে নতুন করে বিতর্ক নবীকে নিয়ে ছবি: ফতোয়ার জবাব দিয়েছেন এআর রহমান টুইটারে এ আর রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একজনের মন্তব্য হিন্দু এবং মুসলমান নামধারী টুইট ব্যবহারকারীরা একে অন্যের ধর্ম নিয়ে যেমন কটু কথা বলেছেন, তেমনই এই বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালককে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন। যেমন শঙ্কর নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, "সঠিক কথা। কিন্তু এ আর স্যার, কোনও বিরূপ মন্তব্যে আপনার কাছ থেকে জবাব পাওয়া খুব খুব খুবই বিরল। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনি খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেন? ধর্মের প্রসঙ্গ রয়েছে বলে?" নভীতা শ্রীকান্ত নামের এক নারী লিখেছেন, "অভিনন্দন একজন গর্বিত পিতাকে। আপনার মেয়েদের কাছে আপনি হিরো, কারণ আপনি তাদের 'ফ্রিডম টু চুজ' দিয়েছেন।" "আপনার মতামত ইসলামের শিক্ষাই দেখায়, যেখানে নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর আর তাদের অধিকারের কথা শেখায়।" "এতে অন্য কারও দু:খ পাওয়ার কী আছে? প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা রয়েছে। ও তো আর বাচ্চা নয়। তার থেকেও বড় কথা, মি. রহমান তো তার অন্য কন্যার ছবি দিয়েছেন যে হিজাব পরে নি। এটাই প্রমাণ করে যে তিনি মেয়েদের নিশ্চয়ই জোর করেন নি পোশাকের ব্যাপারে," লিখেছেন নুজহাত ফিরদোস নামের আরেকজন টুইট ব্যবহারকারী। এ আর রহমানের কন্যা খাতিজার একটি আনভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে যে মি. রহমান তাকে হিজাব পরতে বাধ্য করেন নি। | অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানের কন্যা খাতিজা কেন বোরখা পরেছেন, তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে 'ট্রলড' হওয়ার পরে মেয়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | এমন প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে সৌদি যুবরাজকে লস এঞ্জেলসের পুরো সফরেই নানা ধরনের প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে ইয়েমেন আর নারী স্বাধীনতার ইস্যুতে। তাঁর উদ্যোগেই প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পর সৌদি আরবে উন্মুক্ত হচ্ছে পশ্চিমা সিনেমা। ব্ল্যাক প্যানথার মুভির মাধ্যমে শিগগিরই পশ্চিমা সিনেমার যাত্রা শুরু হচ্ছে সৌদি আরবের সিনেমা হলে। মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত, রাতের খাবার খেয়েছেন মিডিয়া মুগল রূপার্ট মারডকের বাড়িতে। সেখানে স্টুডিও প্রধানরা ছাড়াও ছিলেন দ্যা রক খ্যাত অভিনেতা ডুয়াইন ডগলাস জনসন। আরো পড়ুন: 'ব্ল্যাক প্যানথার' দিয়ে খুলছে সৌদি সিনেমা হল সৌদি আরবে কি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সৌদি আরবের বিনোদন নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন হলিউডের অনেকেই ডিনারের পর ফেসবুক পোস্টে দ্যা রক লিখেন সৌদি আরবে তার অসংখ্য তরুণ ভক্ত আছে জেনে তিনি আনন্দিত। "আমি আমার প্রথম সৌদি আরব সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি নিশ্চিত সেখানকার চমৎকার টেকিলা (এক ধরনের অ্যালকোহল) রয়্যাল হাইনেস ও পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করবো"। কিন্তু টেকিলা ও দ্যা রক সৌদি আরবে ? অ্যালকোহল সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। সৌদি যুবরাজের সফরসঙ্গীরা এবার পুরো হোটেলটিই নিয়ে নিয়েছিলো যেখানে সঙ্গীত থেকে খাবার তালিকা সবকিছুতেই ছিলো সৌদি আমেজ। একটা সম্মেলনও হয়েছে যেখানে মূলত আলোচনা হয়েছে সৌদি আরবে বিনোদনের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেখানে হলিউডের সাথে সংশ্লিষ্ট বহু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নিউইয়র্কের একটি কফি শপে সৌদি যুবরাজ একদল অধিকার কর্মী অবশ্য ইয়েমেন ও নারী ইস্যুতে সৌদি অবস্থানের প্রতিবাদ করেছে সেখানে। তবে এটিও ঠিক হলিউড এবার প্রত্যক্ষ করেছে ৩২ বছর বয়সী যুবরাজের নির্দেশনায় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত একটি সৌদি আরবকে। ফলস্বরূপ সৌদিরা এখন আশা করতেই পারেন যে হলিউডের সুপার ডুপার সিনেমাগুলো শিগগিরই তারা দেখতে পারবেন সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সিনেমা চেইন এএমসি সৌদি আরবে ৩০টির মতো সিনেমা হল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। সৌদি আরবের বিনোদন কর্তৃপক্ষ তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছে সেখানে তাদের মূল বিষয় ছিলো পরিবর্তন। তারা বলছেন ৭০ভাগ সৌদি নাগরিকের বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তারা বিনোদনের জন্য ক্ষুধার্ত। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজ যে কারণে ইসরায়েলিদের মাতৃভূমির পক্ষে সুপারস্টার সালমান খানের বেলায় ভিন্ন বিচার? সিরিয়া থেকে কেন সৈন্য ফেরাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র? ইয়েমেনে শিশু হত্যা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে | সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রীতিমত রাজকীয় অভ্যর্থনাই জানানো হলো হলিউডে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আল-জাহিজ সাতটি খণ্ডে দ্য বুক অফ অ্যানিমেলস বইটি লিখেছিলেন। তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে। তার এই প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন যার মাধ্যমে একটি প্রাণীর জনগোষ্ঠী থেকে নতুন প্রজাতির উদয় ঘটে। এই থিওরি বিজ্ঞানের জগতে বৈপ্লবিক তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। অন দ্য অরিজিন অফ স্পেশিস নামে চার্লস ডারউইনের এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে। তার এই গ্রন্থে তিনি বিবর্তনবাদকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে কোনো প্রাণী ক্রমাগত অভিযোজনের ফলে আপন পরিবেশের জন্যে বিশেষায়িত হতে হতে এক সময় নতুন একটি প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু চার্লস ডারউইনের আগে ইসলামিক বিশ্বেও বিবর্তনবাদ তত্ত্বের আরো একজন প্রবক্তা ছিলেন। প্রাকৃতিক নির্বাচন চার্লস ডারউইনের প্রায় এক হাজার বছর আগে ইরাকে একজন মুসলিম দার্শনিক ছিলেন যিনি প্রাকৃতিক নিয়মে প্রাণীকুলের মধ্যে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে তার উপর একটি বই লিখেছিলেন। এই দার্শনিকের নাম ছিল আল-জাহিজ। যে পদ্ধতিতে এই পরিবর্তন ঘটে তিনি তার নাম দিয়েছিলেন প্রাকৃতিক নির্বাচন। তার আসল নাম ছিল আবু উসমান আমর বাহার আলকানানি আল-বাসরি, তবে ইতিহাসে তিনি আল জাহিজ নামেই বেশি পরিচিত। তার এই নামের অর্থ এমন একজন ব্যক্তি যার চোখের মণি বেরিয়ে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। আল-জাহিজের ছবি দিয়ে কাতারে প্রকাশিত ডাক টিকেট। এরকম অর্থের কারণে কাউকে এই নামে ডাকা হয়তো শোভন নয়, কিন্তু এই আল-জাহিজ নামটিই বিখ্যাত হয়ে আছে তারই লেখা প্রজনন সংক্রান্ত একটি বই-এর কারণে। গ্রন্থটির নাম কিতাব আল-হায়ওয়ান অর্থাৎ প্রাণীদের বিষয়ে বই। তার জন্ম হয়েছিল ৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে, দক্ষিণ ইরাকের বাসরা শহরে, মুতাজিলাহ আন্দোলনের সময়। এসময় ধর্মতাত্ত্বিক কিছু মতবাদ জনপ্রিয় হচ্ছিল যেখানে মানুষের যুক্তির চর্চার উপর জোর দেওয়া হচ্ছিল। তখন ছিল আব্বাসীয় খেলাফত বা শাসনের চরম সময়। সেসময় জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক বই গ্রিক ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হতো। জোরালো বিতর্ক হতো ধর্ম, বিজ্ঞান এবং দর্শন বিষয়ে। এসবের কেন্দ্র ছিল বাসরা শহর। এসব আলোচনা থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল আল-জাহিজের চিন্তাধারা। চীনা বনিকেরা ততদিনে ইরাকে কাগজের ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন তত্ত্ব লিখিত আকারে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। তরুণ আল-জাহিজ তখন নানা বিষয়ে লেখালেখি করতে শুরু করেন। যেসব বিষয়ে তার খুব বেশি আগ্রহী ছিল সেগুলোর মধ্যে ছিল বিজ্ঞান, ভূগোল, দর্শন, আরবি ব্যাকরণ এবং সাহিত্য। ধারণা করা হয় তার জীবদ্দশাতেই তিনি দুশোর মতো বই প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ এই আধুনিক কাল পর্যন্তও টিকে রয়েছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। দ্য বুক অফ অ্যানিমেলস তার বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে দ্যা বুক অফ অ্যানিমেলস বা প্রাণী বিষয়ক বইটি। এটি একটি এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো যাতে সাড়ে তিনশো প্রাণীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটিতে তিনি এমন কিছু ধারণা তুলে ধরেছেন যার সাথে আধুনিক কালের বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদে তত্ত্বের চমকপ্রদ অনেক মিল পাওয়া যায়। আল-জাহিজ তার বইতে লিখেছেন, "টিকে থাকার জন্যে প্রাণীদেরকে লড়াই করতে হয়। লড়াই করতে হয় তাদের খাদ্যের জন্যেও, এবং তারা নিজেরাই যাতে অপরের খাদ্য না হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যে। এমনকি, প্রজননের জন্যেও তাদেরকে সংগ্রাম করতে হয়।" "নিজেদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে গিয়ে পরিবেশের নানা কারণে প্রাণীরা নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং এভাবেই তারা নতুন নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।" তিনি আরো লিখেছেন, "যেসব প্রাণী প্রজনন ঘটাতে টিকে থাকতে পারে তারা তাদের সফল বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারে।" আল-জাহিজের কাছে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল যে এসব প্রাণীকুলকে টিকে থাকার জন্যে অনবরত সংগ্রাম করতে হয়। এবং একটি প্রজাতি সবসময়ই আরেকটি প্রজাতির চেয়ে শক্তিশালী। ডারউইন ও তার বিবর্তনবাদের তত্ত্ব নিয়ে ফরাসী একটি ম্যাগাজিনে কার্টুন। আরো পড়তে পারেন: তুরস্কে স্কুলের বই থেকে বাদ পড়ছে ডারউইনের তত্ত্ব ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? ওসামা বিন লাদেনের ছেলে সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায় টিকে থাকার জন্যে খাবার সংগ্রহের লড়াই-এ প্রাণীদের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়। অন্যের খাবার হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং সন্তান জন্মদান করতেও তাদের সংগ্রাম করতে হয়। এসব কারণে তারা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে রূপান্তর ঘটাতে বাধ্য হয়। আল-জাহিজের এসব ধারণা তার পরবর্তী অন্যান্য মুসলিম চিন্তাবিদদেরকেও প্রভাবিত করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আল-ফারাবি, আল-আরাবি, আল বিরুনী এবং ইবনে খালদুন। পাকিস্তানের 'আধ্যাত্মিক পিতা' মোহাম্মদ ইকবাল, যিনি আল্লামা ইকবাল নামেই অনেক বেশি পরিচিত তিনিও আল জাহিজের এসব তত্ত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। ১৯৩০ সালে প্রকাশিত তার বক্তব্যের একটি সঙ্কলনে তিনি বলেছিলেন, "আল-জাহিজ দেখিয়ে দিয়েছেন অভিবাসন এবং পরিবেশে পরিবর্তনের কারণে প্রাণীদের জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে।" 'মোহাম্মদীয় তত্ত্ব' বিবর্তনবাদের ধারণায় মুসলিম বিশ্বের অবদান বিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় পণ্ডিতদের কাছে গোপনীয় কোন বিষয় নয়। এমনকি, চার্লস ডারউইনের একজন সমসাময়িক বিজ্ঞানী উইলিয়াম ড্রেপার ১৮৭৮ সালে "বিবর্তনবাদের মোহাম্মদীয় তত্ত্ব" নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে যাই হোক, চার্লস ডারউইন মুসলিম বিজ্ঞানী আল-জাহিজের চিন্তাধারা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন কিনা কিম্বা তিনি আরবি বুঝতেন কিনা তার পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ নেই। ডারউইন দেখেছিলেন গ্যালাপাগোস দ্বীপে ফিঞ্চ পাখির বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন রকমের ঠোট। ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন যেখানে প্রাণীর টিকে থাকার সংগ্রামের কথা বিশদ ও পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিবিসি রেডিওর জন্যে ইসলাম ও বিজ্ঞান নামের একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্রের নির্মাতা বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক এহসান মাসুদ বলেছেন, বিবর্তনবাদের ধারণা তৈরিতে আরো যারা অবদান রেখেছেন তাদেরকে স্মরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিয়েশনিজম তিনি আরো বলেন, দশম শতাব্দীর ইরাকে, যখন বাসরা ও বাগদাদ ইসলামিক সভ্যতা ও শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, তখনও ক্রিয়েশনিজমের ধারণা খুব একটা জোরালো ছিল না। ক্রিয়েশনিজম হচ্ছে এমন এক ধর্মীয় বিশ্বাস যাতে মনে করা হয় "ঐশ্বরিক কোন ঘটনা থেকে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও প্রাণের সৃষ্টি" হয়েছিল যা প্রকৃতির বিবর্তনবাদের ধারণার বিরোধী। এহসান মাসুদ ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছেন, "বিজ্ঞানীরা তখন নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার লক্ষ্যে বাইরে বের হয়ে পড়তেন।" এই জ্ঞানের অন্বেষণ করতে গিয়েই মুসলিম দার্শনিক আল-জাহিজের মৃত্যু হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে যে ৯২ বছর বয়সী আল-জাহিজ যখন একটি আলমারি থেকে বই নামাতে গিয়েছিলেন তখন আলমারিটি তার গায়ের ওপরে পড়ে গেলে তিনি মারা গিয়েছিলেন। | আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মোট আট কোটি ১০ লক্ষ ডলারের মধ্যে সাড়ে ছয় কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ এখনও ফেরত আনা যায়নি ব্যাংকটি এ নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে অভিযোগ করেছিলো তার ভিত্তিতেই ব্যাংকটিকে ডাকা হয়েছে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ডিসট্রিক্ট আদালতে যে মামলা করেছিলো বাংলাদেশ সেটিই চলমান আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "আমরা মনে করি এটি আগের মামলারই ধারাবাহিকতা। আর রিজাল ব্যাংকের কর্মকর্তাদের রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সেখানকার আদালতে আগেই প্রমাণ হয়েছিলো। নতুন করে আমরা কিছু করিনি"। ফলে এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে মাকাতির আদালত থেকে ঠিক কোন মামলায় রিজাল ব্যাংককে তলব করা হয়েছে। কারণ ফিলিপিন্সেই এ সংক্রান্ত অন্তত বারটি মামলা হয়েছিলো এবং কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'রিজার্ভ চুরির হোতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে আছে' রিজার্ভ চুরি: কেন জড়িতরা চিহ্নিত হচ্ছে না? বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ ফিরে আসবে কবে? বাংলাদেশের অর্থ চুরি: ফিলিপিন্স ব্যাংক কর্মকর্তার জেল রিজার্ভ চুরি: তিন বছর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি যায় রিজার্ভ চুরি: যা ঘটেছিলো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আট কোটি দশ লাখ ডলার চুরি যায় এবং এই অর্থ ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের শাখায় চারটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে যায় এবং সেখান থেকে দ্রুত অর্থ উত্তোলন করা হয়। পরে চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে মাত্র পনের মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায় প্রমাণ হওয়ায় ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) এর প্রাক্তন শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া দিগুইতোকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করে ফিলিপিন্সের আঞ্চলিক আদালত। এই অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে ২০১৬ সালের অগাস্টেই আরসিবিসিকে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১শ কোটি পেসো অর্থাৎ ১ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করে ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আরসিবিসি'র সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং যে শাখাটি থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছিল সেখানকার পাঁচজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এছাড়া সেখানকার আইন বিভাগ এ বিষয়ে প্রায় এক ডজন মামলা পরিচালনা করছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন এরই ধারাবাহিকতাতেই মাকাতির আদালত থেকে রিজাল ব্যাংককে নতুন করে ডাকা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের আদালতে কয়েকটি মামলা করেছিলো বাংলাদেশ যেগুলো খারিজের আবেদন করেছিলো রিজাল ব্যাংক কিন্তু আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে চারটি মামলা চালিয়ে যাওয়ার রায় দিয়েছিলো। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার চুরির দায়ে ফিলিপিন্সের সাবেক ব্যাংক ব্যবস্থাপক মাইয়া দেগুইতোকে ৩২ থেকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত নিউইয়র্কে মামলায় যা বলেছিলো বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ডিসট্রিক্ট কোর্টে এ মামলা করেছিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মামলায় মূলত ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংক এবং এর পদস্থ কর্মকর্তাসহ কয়েক ডজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। অভিযোগে বলা হয়েছিলো রিজার্ভের অর্থ চুরি করতে 'অনেক বছর ধরে বড় আকারের ও অত্যন্ত জটিল পরিকল্পনা'র সাথে ব্যাংক এবং এসব ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অজ্ঞাত কিছু উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সহযোগিতায় ওই অর্থ চুরি হয়েছে। হ্যাকাররা 'নেসট্যাগ' ও 'ম্যাকট্রাক' নামক ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে ঢুকতে পেরেছিলো। অভিযোগ অনুযায়ী, চুরি হওয়া অর্থ নিউইয়র্ক ও ফিলিপিন্সে রিজাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে এই অর্থ ক্যাসিনোর মাধ্যমে বেহাত হয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিলো যে, "বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি), সোলায়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনো, মাইডাস রিসোর্ট ও ক্যাসিনো এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার বিপরীতে বিবাদীদের করা আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্ট খারিজ করেছে"। বাংলাদেশে তদন্ত করছে সিআইডি তবে বাংলাদেশে কারা জড়িত তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি, অগ্রগতি নেই বিচারেও ২০১৬ সালের মার্চে ঢাকার মতিঝিল থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন উপ-পরিচালক। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছিলো। গত মাসের তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের একটি তারিখ থাকলেও তারা তা দিতে পারেনি ফলে আদালত নতুন তারিখ দেয় ১৩ই জানুয়ারি। এছাড়া রিজার্ভ চুরির বিষয়ে কোনো তদন্ত প্রতিবেদনও বাংলাদেশ সরকার কখনো প্রকাশ করেনি। | বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের মাকাতি-র বিচার আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ পেয়েছে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | পাবনার ইশ্বরদীতে হামলার শিকার বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহমেদ প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট চেয়ে বেশ আলোড়ন তুলেছেন। নৌকায় ভোট চাওয়া সেই ওসির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এর পর তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বিএনপি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল থানার ওসির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পর সোনাইমুড়ি থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়। এ তো গেল দুটো উদাহরণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধড়-পাকড়ের অভিযোগ ওঠে। বিএনপি কিংবা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষে গণসংযোগ করতে পারে এমন নেতা-কর্মীরা পুলিশের অন্যতম লক্ষ্য। কলারোয়ার ওসির নির্বাচনী তৎপরতার ভিডিও: আরও পড়তে পারেন: ভোট গ্রহণের দিনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা কী? নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দেবে সামরিক ভারসাম্য মিশেল ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে 'সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন নারী' এমনকি নির্বাচনে যাতে ধানের শীষের পক্ষে কোন এজেন্ট পাওয়া না যায় সেজন্য তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ। এমন অভিযোগ করছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর এলাকার পলাতক এক বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিন, যিনি বর্তমানে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে চাননি। তিনি বলছিলেন, মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নয়, পুলিশই তাদের প্রতিন্দ্বন্দ্বী। "তারা (পুলিশ) ফোন করে করে বলতেছে পাঁচ তারিখের আগে না আসার জন্য। তারা বলতেছে এখানে আসলে মামলা ঢুকাই দিব," মি: মঈন উদ্দিন বিবিসিকে জানালেন। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, ধানের শীষে ভোট দিতে পারে এমন সম্ভব্য কিছু ব্যক্তিও পুলিশের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। সত্তর-বছর বয়সী পাবনার সুজানগর থানার সৈয়দপুর গ্রামের আকমল শিকদার রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও রাজশাহী যাওয়ার পথে পুলিশ হঠাৎ করেই তাকে বাস টার্মিনাল থেকে আটক করে। ঢাকায় বসবাসরত তাঁর ছেলে আসাদুল্লাহ বলেন, "রাজনীতির সাথে তাঁর (বাবা) দূরতম সম্পর্ক নেই। আমাদের গ্রামে আমাদের জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর লোকজনের কেউ-কেউ ধানের শীষে ভোট দেয়।" "গ্রামে কে-কোন মার্কায় ভোট দেয় সেটা সবাই জানে। সেই হিসেবে বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের গ্রামে পুলিশ আসছিল, যারা ধানের শীষে ভোট দেন এমন যাদের পাচ্ছিল তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল।" ভিডিও: বরিশালে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের কর্মীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সাথে। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে, পুলিশের আচরণের তীব্র সমালোচনা করার সময় তিনি 'জানোয়ার' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এরপর পুলিশ এসোসিয়েশন ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। উনিশশো একানব্বই সাল থেকে বাংলাদেশে অতীতে কোন নির্বাচনে পুলিশের এমন ভূমিকা ছিল কি না সে প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন সব ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলার জন্য বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সাবেক পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে যদি এরকম অভিযোগ থাকে তাহলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের এটি দেখার কথা। তিনি বলেন, "পুলিশ তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তার তো পলিটিকাল কোন রোল (ভূমিকা) নেই। অভিযোগ যারা করছেন তারা তো এক দলের। অতএব এটার সত্যাসত্য আছে কি না সেটা যাচাই করার একটি প্রক্রিয়া তো আছে। সে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিত।" বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদলীয় কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন, নির্বাচনের দিনেও পুলিশ তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবেই থাকবে। তবে বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের আটক করা হয়েছে বা হচ্ছে তাদের সবার নামেই মামলা রয়েছে। | এবারের নির্বাচনে প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারাও বিরোধীদের প্রচারণায় বাধা দিয়েছে। অবশ্য এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণা রয়েছে। এসব কথা বলছিলেন ২২ বছর বয়সী ফায়ি। তবে এটি সে মেয়ের আসল নাম নয়। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন নেতা উইলিয়াম হেগ বলেছেন, গাঁজার ব্যবহার নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।" তিনি মনে করেন, বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা উচিত। তবে ব্রিটেনের সরকার তার এ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মাত্র একদিন আগে কানাডার পার্লামেন্ট বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে দিয়েছে। ফায়ি (ছদ্মনাম) বলেন, তাদের স্কুলে বলা হয়েছে যে কোন অবস্থাতেই মাদকের সংস্পর্শে আসা যাবেনা। মদ্যপান এবং সিগারেট সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তাদের নানা রকম তথ্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেক শিক্ষার্থী জীবনের কোন একটি পর্যায়ে এসে মাদকের সংস্পর্শে চলে আসে। আরো পড়ুন: গাঁজা রপ্তানিতে শীর্ষে যেতে চায় অস্ট্রেলিয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন বছর থেকে বৈধ হলো গাঁজা যেসব কারণে গাঁজা বৈধ করতে যাচ্ছে ক্যানাডা ব্রিটেনে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে সে দেশের সরকার। গাঁজা সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো: লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক ড. মার্টা ডি ফোর্টি বলেছেন, কিশোর বয়সে প্রতিদিন গাঁজা সেবন করলে সিজোফ্রেনিয়া তৈরি করতে পারে। এ ধরনের আশংকার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লিখিত এক নিবন্ধে মি: হেগ উল্লেখ করেছেন যে মানুষের জীবন কিংবা রাস্তা থেকে মাদককে তাড়িয়ে দেবার যে ধারণা সেটি কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে তরুণ সমাজ অন্য কোন কিছুর চেয়ে খুব সহজেই গাঁজা ক্রয় করতে পারে। এমনকি ফাস্টফুড, সিগারেট কিংবা অ্যালকোহল এতো সহজে তারা কিনতে পারেনা বলে মি: হেগ মন্তব্য করেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছে যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সিগারেটের তুলনায় মাদক বেশি ব্যবহার করেছে। গাঁজার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ড্যারেন (ছদ্মনাম) জানিয়েছে সে ১৩ বছর বয়স থেকেই গাঁজা সেবন করছে। "সারাদিন ব্যস্ততার পর আপনি যখন বাসায় ফিরবেন তখন এটি সেবন করলে শরীর এবং মনে প্রশান্তি আসে। হঠাৎ করে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়," বলছিলেন ড্যারেন। "এটা আমার মনে যেভাবে প্রশান্তি নিয়ে আসে, সেটি আমি পছন্দ করি।" তিনি মনে করেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অ্যালকোহল পান করার চেয়ে গাজা সেবন করাকে নিরাপদ মনে করে। "অ্যালকোহল পানে মানুষের মৃত্যু হয়। এটি লিভার ধ্বংস করে। কিন্তু গাঁজা সেবন নিয়ে এ ধরনের কিছু পাবেন না। এটা অনেকটা নরম বিকল্পের মতো। এটি সেবন করলে আমি মারা যাবনা।" তবে গাঁজা সেবনের কিছু ক্ষতিকারক দিক আছে। সে বিষয়টি স্বীকার করছেন ড্যারেন। গাঁজা সেবনের কারণে হয়তো তার পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে এবং অন্যান্য অর্জন ব্যহত হয়েছে। "আমি ভালো করেছি। কিন্তু আমি হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম। প্রতিদিন গাঁজা সেবনের সাথে আমার মনে এ দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। যখন আমি গাঁজা সেবন করি সে মুহূর্তটি চমৎকার। কিন্তু একঘণ্টা পর আমার মনে অপরাধ-বোধ কাজ করে। তাছাড়া এটা খুব দামি এবং কখনো-কখনো এটি আমাকে অলস করে দেয়।" গাঁজা সেবনের কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন গবেষকরা। ড্যারেন বলেন, গাঁজা সেবন এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মস্থল থেকে বের হলে কিংবা মার্কেটে গেলে গাঁজা বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়। তারা মানুষের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে - গাঁজা কিনবে কিনা? ব্রিটেনে অনেকে মনে করেন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোর কিংবা তরুণরা শুধু গাঁজা সেবন করে। কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। "মা-বাবা, দাদা-দাদী, পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা শিক্ষকও গাঁজা সেবন করে," বলছিলেন ড্যারেন। ফায়ি জানালেন, শুধু স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে গাঁজা সেবন সীমাবদ্ধ নেই। যাদেরকে এ তালিকার বাইরে রাখা হয়, তাদের মধ্যেও এর বিস্তৃতি ঘটেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০১৮: রুশ নারীরা এত আলোচনায় কেন? নরওয়ের ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত পরিবহন বিপ্লব লেভেল ক্রসিং-এর মরণফাঁদ বন্ধ হয় না কেন? | "সন্ধ্যার সময় গাঁজা সেবন করা আর শুক্রবার রাতে এক গ্লাস ওয়াইন পান করা - এ দুটো বিষয় আমার কাছে একই সমান মনে হয়। আমার বয়সী যারা আছে তারা মনে করে মদ্যপান কিংবা সিগারেটের চেয়ে গাঁজা সেবন নিরাপদ।" |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কোটার কারণে মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কোটা সংস্কার সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের এক সরকারি কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব রেখে যে সুপারিশ করে গতকাল বুধবার তাতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলে। তার এক দিন পর বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তরফে থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ৯ম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) গ্রেডের ক্ষেত্রে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। নবম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির পদে কোটার আগের মতোই চালু থাকছে। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংশোধন দাবি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত ক'মাস ধরে সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। মার্চে ঢাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল (ফাইল ফটো) আরো পড়তে পারেন: গঙ্গা তীরের যে ধর্ষণের ভিডিও নিয়ে ভারতে তোলপাড় ভূমিকম্পে তরল মাটিতে ডুবে যাবে ঢাকার বাড়িঘর? ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে যা বলছেন রোনালদো তাদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ই এপ্রিল সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপর সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা চালু হয়। কিন্তু বর্তমানে মেধার স্বীকৃতি চেয়ে যে আন্দোলন চলছে, তাকে মেনে নিয়ে ৪৬ বছরের পুরনো একটি প্রথা বাতিল হয়ে গেল। এই পরিপত্র জারির প্রশ্নে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোন প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। | বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ইরানের আনবিক শক্তি কমিশন সোমবার নাতাঞ্জে আধুনিক সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহারের ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাসহ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জার্মানির সাথে সম্পাদিত ওই চুক্তি মোতাবেক ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে রাজী হয়েছিল। কিন্তু ওই চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই তারা ওই চুক্তির শর্তগুলো ভাঙতে শুরু করে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, তেহরানের কাছে ফরদাও নামে তাদের ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ইরান এক হাজারেরও বেশি সেন্ট্রিফিউজের ভেতর গ্যাস ভরা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আবার সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এমন এক ধরণের ইউরেনিয়াম যা পারমাণবিক চুল্লিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়, আবার তা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করা যায়। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, ইরান যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা থামানো যাবে না। আরো পড়তে পারেন: মাদকবিরোধী অভিযানের নামে 'ক্রসফায়ারে মৃত্যুর' রেকর্ড আজহার বেটিং কেলেঙ্কারি ভারত যেভাবে সামলায় ইন্টারনেটে এক শিক্ষকের আইএস বিরোধী লড়াই দু'হাজার পনের সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সাথে সম্পাদিত এক টেকনিক্যাল চুক্তির অধীনে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রেখেছিল। বিনিময়ে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু ইরানের পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই চুক্তির শর্ত আরো বেশি করে লঙ্ঘন করা হলো। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার কথা ঘোষণা করেন এবং ইরানের ওপর কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন, ইরানকে যেন ওই চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করা যায়। কিন্তু এর জবাবে এ বছরের প্রথম দিক থেকেই ইরান ওই চুক্তির শর্তগুলো ক্রমান্বয়ে ভাঙতে শুরু করে। তেহরানে এক ভাষণে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, যখনই ওই চুক্তির অন্যান্য পক্ষগুলো তাদের অঙ্গীকার পূরণ করবে, তখনই তার দেশ সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস ভরার কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। | ইরান বলছে, তারা তাদের পরমাণূ কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য যে আন্তর্জাতিক চুক্তি করেছিল - তার লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ আবার শুরু করবে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ হলেও এখানে রয়েছে খাবারের নানা বৈচিত্র্য একেকটি এলাকা ভেদে একেক রকমের খাবারের প্রচলন রয়েছে। যেমন সিলেটের খাবারে সাতকড়া বা খুলনায় চুই ঝাল ব্যবহারের প্রচলন থাকলেও, অন্যান্য এলাকায় সেটি নেই। আবার অনেক এলাকায় রয়েছে নিজেদের ধরণে জনপ্রিয় ও প্রচলিত খাবার। এরকম বিভিন্ন এলাকার জনপ্রিয় খাবার নিয়ে বিবিসি বাংলার পাঠকদের কাছে ছবি ও বর্ণনা চাওয়া হয়েছিল। আরো পড়ুন: জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব কেন কিছু খাবার পছন্দের আর কিছু অপছন্দের? কুড়িগ্রামের ক্ষীরমোহন কুড়িগ্রামের ক্ষীরমোহন কুড়িগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উলিপুর এখানকার বিখ্যাত "পাবনা ভাগ্যলক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার" এর- তৈরিকৃত " ক্ষীরমোহন " । এই ছবিটি পাঠিয়েছেন লিটন কুমার মোদক। তিনি এর নির্মাণ প্রনালীও পাঠিয়েছেন। এটা উলিপুরের ঐতিহ্যবাহি খাবার। আশপাশের জেলা ছাড়াও ঢাকায় ব্যাপক চাহিদা। প্রথমে ক্ষীরমোহনের জন্য তৈরিকৃত মিষ্টি চিপে রস বেড় করে রাখা হয়। তারপর দুধ কে জ্বাল দিয়ে ঘন ক্ষীর তৈরি করে চিপে রাখা মিষ্টি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিতে হয় তারপর নামানোর আগে বড় এলাচের গুড়া এবং তেজ পাতা দিতে হয়। খুলনা অঞ্চলের চুই ঝাল খুলনা অঞ্চলের মাংস রান্নায় চুই ঝাল নামের একপ্রকার গাছের ব্যবহার রয়েছে। ওয়ারিশা মাহি লিখেছেন, মাংস ধুয়ে নানারকম মসলা মাখিয়ে সেদ্ধ করতে হয়। একপর্যায়ে সেই মাংসের সঙ্গে চুই ঝাল মিশিয়ে দিয়ে খানিকক্ষণ ভুনে নিতে হয়। মুক্তাগাছার মণ্ডা ময়মনসিংহ এর মুক্তাগাছার মণ্ডা ময়মনসিংহের মুক্তগাছা এলাকার একপ্রকার মিষ্টি হচ্ছে মণ্ডা। দুধ ও চিনি দিয়ে মণ্ডা তৈরি করা হয়। এ নিয়ে একটি গল্পও রয়েছে। প্রায় দুইশো বছর আগে মুক্তাগাছার একজন মিষ্টির কারিগর স্বপ্নে নির্দেশনা পান যে, কিভাবে মণ্ডা তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী তিনি চুল্লি খনন করে মণ্ডা তৈরি করেন। এভাবে মুক্তাগাছার মণ্ডার যাত্রা শুরু। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করার আদেশ মোহাম্মদ মোরসি: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্টের উত্থান ও পতন বিকাশ-রকেটে ব্যালেন্স জানার খরচ কে দেবে? '২৫টি পরিবারে আমার ৩৫টি সন্তান, একটিও নিজের নয়' চট্টগ্রামের মেজবানির মাংস চট্টগ্রামের মেজবানির মাংস চট্টগ্রামের বড় ধরণের খাবারের আয়োজনকে বলে মেজবান আর সেই আয়োজনের মাংসের রয়েছে আলাদা ধরণের রন্ধন রীতি। তাকে বলা হয় মেজবানির মাংস। বিয়ে, জন্মদিন, মৃত্যুবর্ষিকী, ব্যবসায় উন্নতি, নতুন ব্যবসা, আকিকা ইত্যাদি নানা উপলক্ষ্যে মেজবানের আয়োজন করা হয়। সাধারণত গরুর মাংস দিয়ে মেজবানির মাংস রান্না করা হয়, যেখানে নানা ধরণের মসলা ব্যবহার করা হয়। কুমিল্লার রসমালাই কুমিল্লার রসমালাই কুমিল্লার বিখ্যাত একটি খাবার রসমালাই। ধারণা করা হয়, উনিশ শতক থেকে কুমিল্লা শহরে এই রসমালাই বিক্রি করা শুরু হয়। মনোহরপুরের মাতৃভাণ্ডার নামের একটি দোকানে এই রসমালাই তৈরি হতো। ছবিটি পাঠিয়েছেন রিয়াদ মীর। সিলেটের সাতকড়া সিলেটের সাতকড়া সিলেটের মাংস রান্নার একটি জনপ্রিয় অনুসঙ্গ সাতকড়া। অনেকটা লেবু জাতীয় এই ফলটি মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করা হয়। সিলেটের বাসিন্দাদের কাছে এর জনপ্রিয়তা এতো বেশি যে, এখন বাণিজ্যিকভাবে সাতকড়ার চাষ করা হচ্ছে এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। বরগুনার চালের রুটি বরগুনার চালের রুটি অতিথি এলে বা বিশেষ বিশেষ উৎসবে চালের রুটি বরগুনার বাসিন্দাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। নতুন ফসল উঠলেও চালের রুটি তৈরি করা হয়। গরু বা মুরগির মাংসের সঙ্গে সাধারণত চালের রুটি খাওয়া হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁচানো জিলাপি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁচানো জিলাপি জিলাপি এমনিতে পেঁচানো হলেও বিশেষ প্রক্রিয়ায় এবং খানিকটা আলাদাভাবে এই পেঁচানো জিলাপি তৈরি করা হয়। আরো যেসব জনপ্রিয় ও নামকরা খাবার রয়েছে: | বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ হলেও এখানে রয়েছে খাবারের নানা বৈচিত্র্য। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদ। তাদের সাথে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর পরিচালক ও ব্যবসায়ী মিনহাজ মান্নান ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশী সাংবাদিক তাসনিম খলিল এবং সাহেদ আলম। র্যাবের পরিচয় দিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাবার দুইদিন পরে পরে লেখক দিদারুল ভূঁইয়াকে আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে এবং সরকারের বিরুদ্ধে 'গুজব ছড়ানোর' অভিযোগে এদের সবার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মধ্যে অন্যতম দিদারুল ভূঁইয়ার স্ত্রী দিলশাদ আরা বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার স্বামী কোন অন্যায় করেনি। "দেশে অনিয়ম হলে সেটার বিরুদ্ধে লেখার অধিকার সবার রয়েছে। সেও লিখেছে। এটা কোন অপরাধ না। কোনটা রটনা আর কোনটা ঘটনা সেটা সবাই জানে।" এসব গ্রেফতার এবং মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বেশ সমালোচনা মুখর হয়েছেন। 'সরকারের সহিষ্ণুতার অভাব' বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সরকারের যে অব্যবস্থাপনা রয়েছে সেগুলো নিয়ে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সেজন্য সবার মনে ভয় ধরিয়ে দিতে চায় সরকার। এজন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন মনে করেন সরকারের সহিষ্ণুতার অভাব থেকেই এ ধরণের গ্রেফতার করা হচ্ছে। "এটা কখন হয়? সহিষ্ণুতার এমন অভাব হয়েছে যে তারা (সরকার) সমালোচনা নিতে পারছে পারছে না। যখনই কেউ ভিন্নমত পোষণ করে তখনই মামলা দেয়া হয়, তুলে নেয়া হয়," বলছিলেন কাবেরী গায়েন। এসব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নানা অনিয়ম এবং বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরির অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই সোচ্চার হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, মহামারির এ সময়টিতে সরকারি অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো মূলধারার গণমাধ্যমে তেমন একটা উঠে আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরকারের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমালোচনার জায়গা তারা বন্ধ করতে চায়," বলছিলেন কাবেরী গায়েন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সম্পাদকদের উদ্বেগ ছিল শুরু থেকেই। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা এসব গ্রেফতার এবং মামলা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। " মানুষ তার দেশের ভালোর জন্য কথা বলবে না? তাহলে কে বলবে? দেশটা কাদের?" প্রশ্ন তোলেন শিপা হাফিজা। তথ্য না দিতে নানা বিধি-নিষেধ? করোনাভাইরাসের বিস্তার যখন দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করে সে সময় হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসকদের পিপিই সংকট, টেস্টের অপ্রতুলতা - এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তখন ডাক্তার এবং নার্সরা তাদের আক্ষেপ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন। অনেক ডাক্তার এবং নার্স পিপিই'র অপ্রতুলতার বিষয়টি ফেসবুকেও তুলে ধরেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে একের পর এক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। যেসব ডাক্তার এবং নার্স ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক্তার এবং নার্সরা যাতে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে না পারেন সেজন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস ভাইরাস সংক্রান্ত প্রতিদিনের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে শুধু বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে যেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে থাকে। স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা এবং করোনা সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকে প্রস্তুতির যে ঘাটতি রয়েছে সেটিকে ঢাকতে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। কাবেরী গায়েন বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যখন সংকট দেখা দেবার আগে সরকার বলেছিলেন তাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু সংকট শুরুর পর উল্টো চিত্র দেখা গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সরকার কী বলছে? বিবিসি বাংলার তরফ থেকে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চাওয়া হয়েছিলো, বক্তব্য চাওয়ার বিষয়টি তাকে অবহিতও করা হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দিন আহম্মদ । এর কিছুক্ষণ পর জনসংযোগ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করছেন।, যা সাধারণত দেড়-দু'ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বক্তব্য দেবার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে পাওয়া যাবেনা বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মি. আহমদ। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য তার কাছে নেই। তবে হতাশা প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজেও ফেসবুকে অবমাননার শিকার হয়েছেন। তার মায়ের জানাজা নিয়ে ফেসবুকে কেউ-কেউ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে বলে আইনমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক হুজুর মারা যাবার পর তার জানাজায় বেশ লোক সমাগম হয়। আমার মা তার পরদিন মারা যায়। সামাজিক দূরত্ব মেনে খুবই ছোট পরিসরে স্থানীয় একটি মসজিদে পারিবারিকভাবে আমার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।" তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী এবং পাবনার সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফের জানাজার ছবিকে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজার ছবি বলে কেউ-কেউ ফেসবুকে প্রচার করেছে। "এ ভুয়া ছবি প্রচার করে কেউ-কেউ বলেছে আমার মায়ের জানাজায় লোক সমাগম হলে দোষ হয়না আর হুজুরের জানাজায় লোক সমাগম হলে দোষ হয়," বলছিলেন আইনমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "এই ঘটনার পর কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করে, তাহলে কি অন্যায় হবে?" আইনমন্ত্রী বলেন, কাউকে হয়রানি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে কেউ যাতে হয়রানির এবং মিথ্যা তথ্যের শিকার না হয় সেজন্য এই আইন করা হয়েছে। | বাংলাদেশে যখন করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হয়, তখন থেকেই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | লর্ড কার্লাইল, কিউসি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মামলায় আইনগত পরামর্শ দেয়ার জন্য লর্ড কার্লাইলকে অনুরোধ করা হলে তিনি সম্মতি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এসব মামলার বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড মেনে চলা হচ্ছে কি না, সেদিকেও তিনি লক্ষ্য রাখবেন বলে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, লর্ড কার্লাইলের ভূমিকা হবে মূলত একজন আইনি পরামর্শকের। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো যেভাবে পরিচালনা করছে, এসব মামলার ব্যাপারে আদালতে বিচারিক রীতিনীতি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তিনি সে বিষয়েও পরামর্শ দেবেন। লর্ড অ্যালেক্স কার্লাইলের খ্যাতি বড় বড় কিছু মামলায় তার সাফল্যের জন্য। এর মধ্যে একটি ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর তার ব্যক্তিগত বাটলার পল বারেলের বিরুদ্ধে মামলা। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরও দেখুন: জেলখানায় নেশাদ্রব্যের ব্যবহার: কী করছে কর্তৃপক্ষ? বিশ্বের যে সাতটি দেশে মার্কিন সেনারা সবচেয়ে বেশি তৎপর এতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে তিনি রাজকীয় সম্পত্তি থেকে কিছু জিনিসপত্র চুরি করেছেন। লর্ড কার্লাইল পল বারেলের পক্ষে সেই মামলায় সফলভাবে লড়েছিলেন। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট ২০১৬ সালের ৮ই মার্চ জামায়াত নেতা মীর কাশিম আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখার পর লর্ড কার্লইল বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ঐ আদালতের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার সুপারিশ করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জানান, লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগের পেছনে আরেকটি কারণ হলো এসব মামলার আন্তর্জাতিক দিকটির দিকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নজর রাখা। ভারত, পাকিস্তান, কিংবা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ধরনের মামলায় কীভাবে আইন প্রয়োগ করা হয়, ন্যায়বিচার কীভাবে নিশ্চিত করা হয়, লর্ড কার্লাইল সেই বিষয়েও পরামর্শ দেবেন বলে মি. আহমেদ বলেন। আইনজীবী সমর্থকদের মাঝে খালেদা জিয়া। (ফাইল ফটো) তবে লর্ড কার্লাইলে নিযুক্তি খালেদা জিয়ার আইনি উপদেষ্টাদের প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ কী না, বিবিসির এই প্রশ্নকে মওদুদ আহমেদ সরাসরি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, দেশের সেরা আইনজীবীরাই চেয়ারপার্সনের মামলাটি পরিচালনা করছেন। তাদের সাথে লর্ড কার্লাইলের যোগদান মামলায় বিবাদী পক্ষের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। লর্ড কার্লাইল দীর্ঘ ২৮ বছর খণ্ডকালীন বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে খালেদা জিয়ার মামলা ও সাজার বিষয়ে তুলে ধরতেও লর্ড কার্লাইল কাজ করবেন। | বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় আইনগত পরামর্শ দেয়ার জন্য ব্রিটেনের সেরা আইনজীবীদের একজন লর্ড কার্লাইলকে নিযুক্ত করেছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | নাসিরনগরে এমন বহু দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুরের শিকার হয়েছে ওই হামলায়। শতশত মানুষ যখন বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নাসিরনগরের হিন্দু বাড়ি এবং মন্দিরগুলোতে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়, তখন আতঙ্কিত হিন্দুদের অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে প্রাণ রক্ষার জন্য পালাতে শুরু করে। কিন্তু এসময়ই হামলাকারীদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন মুসলমান যুবক। হিন্দুবাড়ি এবং মন্দির বাঁচাতে তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছিলেন। এদেরই একজন জামাল উদ্দিন - তিনি নাসিরনগর সদর হাসপাতালে স্টোরকিপারের চাকুরী করেন। হিন্দুদের বাড়িগুলোতে যখন আক্রমণ শুরু হয়, জামালউদ্দিন তখন হাসপাতালে বসে থাকতে পারেননি। তিনি দৌড়ে যান কিছুটা দূরে অবস্থিত দত্তবাড়িতে। তার সাথে আরো কয়েকজন মুসলমান যুবক দত্তবাড়ির প্রধান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হামলাকারীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। আট থেকে দশজন মুসলমান যুবক দত্তবাড়ির সামনে সারিবদ্ধ হয়ে আক্রমণকারীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আক্রমণকারীদের সংখ্যার তুলনায় জামালউদ্দিন ও সহযোগীদের শক্তি ছিল খুবই নগণ্য। আক্রমণের পর দত্ত বাড়ির একাংশের ছবি হামলাকারীদের কারো কারো হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি। তারা জামালউদ্দিনকে রড় দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত দত্তবাড়ির পূজামণ্ডপ রক্ষা করতে পারেননি জামালউদ্দিন। জামালউদ্দিন ও তার সহযোগীদের আঘাত করে হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকে যায়। তারপর হামলাকারীরা সে পূজামণ্ডপ গুড়িয়ে দেয়। শতশত আক্রমণকারীর সামনে নিজের জীবন বাজি রেখে জামালউদ্দিন কেন এগিয়ে গিয়েছিলেন? জামালউদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমি তখন নিজের জীবনের চিন্তা করি নাই। ওরা আমার ভাই, এটা আমার গ্রাম। ওরা তো নিরপরাধ লোক। এ বর্বরোচিত হামলা কেন এদের উপর হবে?" তিনি বলছিলেন হিন্দু গ্রামবাসীদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য তিনি মৃত্যুর জন্য তৈরি ছিলেন। রবিবার সকালে হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে জামালউদ্দিনের শরীর এখনো শিউরে ওঠে। ভয়ঙ্কর এক সাম্প্রদায়িক আক্রমণ দেখেছেন জামালউদ্দিন। এ ধরনের আক্রমণের কথা তিনি কখনো ভাবতেও পারেননি। নাসিরনগর উপজেলার দত্তবাড়ি, নমশূদ্র পাড়া, কাশিপাড়া এবং ঘোষ পাড়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে উগ্র ইসলামপন্থীদের একটি গোষ্ঠী। জামালউদ্দিন বলছিলেন, "ওইদিন আমার নিজের প্রতি একটুখানিও মায়া ছিল না। আমার এক ভাই অন্যায় হামলার শিকার হবে, আমাদের মা বোনদের ইজ্জত যাবে - তাহলে আমাদের থেকে লাভ কী?" জামালউদ্দিন, দত্তবাড়ির প্রধান ফটকে দাড়িয়ে হামলাকারীদের বাধা দিচ্ছিলেন এবং তাঁর সাথে ছিল আরও আট থেকে দশজন মুসলমান যুবক। জামাল উদ্দিনের সাথে হিন্দুবাড়ি রক্ষা করতে আরো এগিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের লাইব্রেরিয়ান। মি: মজিদ জানালেন আক্রমণকারীদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে বলে তাদের মনে হয়েছে। মি: মজিদ বলছিলেন, যে হিন্দু যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাবাঘরকে অবমাননা করে ছবি দেয়া হয়েছে তার বিচার হোক। কিন্তু তারা কখনোই চাননি নির্বিচারে হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা হোক। তিনি বলেন, "যারা হামলা করছিল, তারা মুসলমান নামের কলঙ্ক। এরা অন্য কোন হাসিল আদায় করার জন্য এ ঘটনা ঘটাইয়া গেছে। আমরা বলছি বাড়িতে ঢুকতে হইলে আমাদের মাইরা তারপরে ঢুকতে হইব"। হামলাকারীরা মি: মজিদকে ইট এবং লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেছিল। মি: মজিদের বর্ণনায় নাসিরনগরে হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাইয়ের মতো বহু বছর ধরে একসাথে বাস করছে। উভয় ধর্মের উৎসবে গ্রামের সবাই যোগ দেয় এবং সহযোগিতা করে। নীলিমা দত্ত রবিবার সকালে শতশত আক্রমণকারীর মাঝে কয়েকজন মুসলমান যুবক যেভাবে হিন্দুদের রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, সেটিকে কৃতজ্ঞতার সাথে বর্ণনা করছেন স্থানীয় দত্তবাড়ির বাসিন্দারা। দত্তবাড়ির বাসিন্দা নীলিমা দত্ত বলেন, "এক মুসলমান হামলা করেছে, আরেক মুসলমান বাঁচাইছে। ওরা যদি আমাদের রক্ষা না করতো, তাহলে এখানে লুটপাট হইতো"। তিনি বলছিলেন যে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক আক্রমণ তিনি তার জীবনে কখনো দেখেননি। হামলাকারীরা পূজামণ্ডপ ভাংচুর করলেও মুসলমান যুবকদের বাধার কারণে বাসস্থানের ঘরে ঢুকতে পারেনি। তবে বাইরে থেকে ঢিল ছুঁড়েছে। এমনকি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দত্তবাড়িতে এ ধরনের আক্রমণ হয়নি বলে নীলিমা দত্ত উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও মুসলমানদের সহযোগিতায় হিন্দুরা দত্তবাড়িতে পূজার আয়োজন করেছিল বলে এখানকার বাসিন্দারা জানালেন। নীলিমা দত্ত বলেন, যে হিন্দু যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাবাঘরকে অবমাননা করে ছবি দেয়া হয়েছিল, তার কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। কিন্তু সে ছবির জের ধরে সব হিন্দুবাড়ি এবং মন্দিরে কেন হামলা চালানো হলো, সে প্রশ্নের উত্তরটাই খুঁজে পাচ্ছেন না নীলিমা দত্ত। নাসিরনগরে ভাঙচুরের পর মন্দিরের অবস্থা আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা: কি করেছেন এমপি, স্থানীয় নেতারা ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবি: হিন্দু পল্লীতে তাণ্ডব | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের জীবনে এমন ভয়ানক দিন স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে কখনো আসেনি। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বিপ্লব পাল, নৈরিত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। এক্ষেত্রে অনেক সময় কৃষকরা ঐ জমি পরিত্যাগ করতে বা কৃষিকাজ বাদে অন্য ধরণের কাজ খুঁজতে বাধ্য হন। উত্তর-পশ্চিম ভারতের গুজরাটের একজন কৃষক মাধবন বলছিলেন একসময় তাঁর পুরো পরিবারের অন্ন সংস্থান হতো যেই জমিতে কৃষিকাজের মাধ্যমে, সেই জমি এখন লবণের মিহি আস্তরণে আবৃত। মাধবন বলেন, "একসময় যে জমিতে শুধু ঘন সবুজের সমারোহ ছিল, এখন সেটিই মরুভূমির মত।" ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষিজমি এমন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে নৈরিতা ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক উদ্যোক্তাদের সংস্থা। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ত্রুপ্তি জৈন আর বিপ্লব খেতান পাল এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। বিপ্লব বলেন, "২০০১ সালে গুজরাটের ভূমিকম্পের পর হঠাৎ করে ঐ এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পানিশূণ্যতার সৃষ্টি হয়। এর পরপরই বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয় আর বন্যা হয়। ঐ বন্যার পর মাসের পর মাস জলাবদ্ধতা ছিল যার ফলে কৃষকদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এরপরই আমি এই সমস্যার সমধান খোঁজার চেষ্টা করতে থাকি।" "তখন আমি বুঝতে পারি প্রবল বর্ষণকে কাজে লাগিয়েই আসলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।" আরো পড়ুন: তিস্তা নিয়ে নমনীয় হচ্ছেন মমতা? অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সমকামীরা কেমন আছেন? অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকলে মাটির উপরিভাগে একটি আস্তরণ পরতে পারে যা মাটিতে পানি প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারে। বিপ্লব ও ত্রুপ্তি বিভিন্ন জলাধারে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা শুরু করেন যেন ঐ পানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো যায়। "তখনই আমাদের মাথায় ভুঙরুর পরিকল্পনা আসে। এটি মাটির নিচে পানি ধরে রাখার একটি পদ্ধতি। কৃষকরা গ্রীষ্ম ও শীতে ঐ পানি ব্যবহার করতে পারবে", বলেন ত্রুপ্তি। কৃষিজমির মরুকরণ ভারতের গুজরাট ও অন্যান্য অঞ্চলের মাটিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততার জন্য পানি ঢুকতে পারে না এমন সাদা অথবা বাদামী আস্তরণ তৈরী হয়। এর ফলে মাটির উপরিভাগে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিপ্লব বলেন, "এই পানি লবণাক্ত মাটিতে মিশে মাটিতে উপস্থিত খনিজ পদার্থও " প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর (২ কোটি ৯০ লক্ষ একর) কৃষিজমি মুরুভূমিতে পরিণত হয়। এসব জমিতে ২ কোটি টন ফসল উৎপাদন করার সুযোগ থাকে। তখন ঐ এলাকায় বসবাসকারী কৃষকদের অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। জাতিসংঘের মরুকরণ প্রতিরোধ সম্মেলনের (ইউএনসিসিডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মরুকরণের প্রভাবে বিশ্বের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের বাসস্থান ও কর্মসংস্থান হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ভুঙরু দিয়ে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব। ভুঙরু সেচ প্রকল্প ভুঙরু একটি গুজরাটি শব্দ, যার অর্থ 'নল'। যেসব স্থানে জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে সেসব এলাকায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের কিছু পাইপ প্রবেশ করানো হয়। বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি এসব পাইপের মধ্যে দিয়ে মাটির নিচের প্রাকৃতিক জলাধার সঞ্চিত হয়। পরে শুষ্ক মৌসুমে এই পানি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বর্ষার সময়ও কৃষকরা ফসল ফলাতে পারেন কারণ মাটি অতিরিক্ত সিক্ত থাকে না। গ্রীষ্মে বা শীতে যখন পানির স্বল্পতা তৈরী হয় তখন পাম্পের মাধ্যমে মাটির নিচে জমা থাকা পানি তুলে সেচকাজে ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানান ত্রুপ্তি। একটি ভুঙরু ইউনিটের মাধ্যমে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে সেচকাজ পরিচালনা করা সম্ভব। প্রকল্পের অবস্থান ও ব্যপ্তি বিচারে একটি ভুঙরু প্রকল্প স্থাপন করতে ৭৫০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এখন পর্যন্ত ভারতে ও ভারতের বাইরে ৩৫০০ ভুঙরু প্রকল্প স্থাপন করেছে নৈরিতা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার কি ফসল উৎপাদন বাড়াবে? টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় রেয়াল মাদ্রিদের পৃথিবী যে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে, তার একটি প্রমান হয়তো বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন আবিষ্কার। | ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বৃষ্টিপাত বা দীর্ঘায়িত শুষ্ক মৌসুমের কারণে অনেকসময় কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতাবা খরার মত সমস্যার মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। এর ফলে তাদের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | একজন বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সারা রাত ধরে পুলিশের সাথে তীব্র এবং সহিংস সংঘর্ষের পর - ভোরবেলা পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০০ জনের একটি গ্রুপ বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করতে গেলে তারা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটের সম্মুখীন হয়। এ নিয়ে তৃতীয়বার তারা ক্যাম্পাস ত্যাগের চেষ্টা করলো। এখানকার ঘটনার বেশ কিছু ছবি বেরিয়েছে, যাতে দেখা যায় টিয়ার গ্যাসের ঘন ধোঁয়ার মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারী ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী আছে বলে হংকংএর একজন গণতন্ত্রপন্থী এমপি জানিয়েছেন। টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাচ্ছে কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশ এর আগে বলেছিল যে বিক্ষোভকারীরা চিওং ওয়ান রোড সাউথ ব্রিজ - যা ক্যাম্পাস থেকে বেরুনোর আরেকটি পথ - তা দিয়ে তারা বেরিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তাদেরকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে গ্যাসমুখোশ খুলে ফেলতে হবে। এর আগে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এবং নানা জায়গায় আগুন লাগায়। এর আগের খবরে জানা যায়, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের পেছন থেকে পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও তীর ছুঁড়ে মারলে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস ধরেই হংকংয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে পুলিশ কর্মকর্তারা এর কিছুক্ষণ আগেই বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দেয় যে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুঁড়বে। গত কয়েকমাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। তবে আধাস্বায়ত্বশাসিত এই চীনা নিয়ন্ত্রণাধীন শহরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত কিছুদিনে উগ্র বিক্ষোভকারীরা বারবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হংকং-এ গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো একজনের 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' হংকং: সঙ্কুচিত হচ্ছে মীমাংসার পথ, উপায় কী চীনের? হংকং বিক্ষোভে চীন কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে সোমবার সকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায় গত কয়েকদিন ধরেই পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। রবিবার বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও জল কামানের হামলার জবাব দেয় পেট্রল বোমা, ইটপাটকেল ও তীর ছোঁড়ে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা হাঁটুতে তীরবিদ্ধ হন । বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লো কেন সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের দখল নেয়ার জন্য পুলিশ অগ্রসর হতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের সাথে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ছোঁড়ে। ক্রস হারবার টানেলের ওপর একটি সেতুও দখল করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ পিছু হটে যায়। ক্যাম্পাসের ভেতরে তখন শত শত বিক্ষোভকারী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখল করে রাখা শিক্ষার্থীদের রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হলেও অনেকেই এখনো ক্যাম্পাসে রয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র লুইস লাউ ফেসবুকে প্রচারিত হওয়া এক বক্তব্যে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তারা যদি পুলিশ অফিসারদের দিকে পেট্রল বোমা, তীরের মত বিপজ্জনক অস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের গুলি করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।" ক্যাম্পসের ভেতরে তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান পুলিশকে সরিয়ে রাখতে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে আগুন জ্বালিয়ে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি প্রকাশ করে ক্যাম্পাস দখল করা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসের দখল ছেড়ে যেতে অনুরোধ করে। শনিবার চীনা সৈন্যরা টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট পরে রাস্তায় বিক্ষোভের ধ্বংসস্তূপ পরিস্কার করে এবং ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম হংকংয়ে থাকা চীনা সৈন্যদের - যারা সাধারণত ব্যারাক ছেড়ে বের হয় না - রাস্তায় দেখা গেলো। কেন শুরু হলো বিক্ষোভ সরকারি একটি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই কয়েক মাস আগে হংকং-এ বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিলটিতে বলা ছিল, কোনো অপরাধী ব্যক্তিকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চীনের মূল ভূখণ্ডে হস্তান্তর করা যাবে। হংকং চীনের অংশ হলেও এই স্থানটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কিন্তু হংকং-এর মানুষের মধ্যে এই বোধ তীব্র হচ্ছে যে, বেইজিং তাদের উপরে আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। চিলি ও লেবাননের মতই হংকং-এর বিক্ষোভেও কাজ হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবু বিক্ষোভ এখনো চলমান। এখন যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল নাগরিকের ভোটাধিকারের দাবি। এছাড়া বিক্ষোভে পুলিশী সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক এই কর্মসূচি বিশ্বের আরেক প্রান্তের দেশকেও উদ্বুদ্ধ করেছে। | হংকংএ পুলিশের ঘিরে রাখা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা পালানোর চেষ্টা করার সময় তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | রোগীর এক্স-রে প্রতিবেদন দেখছেন একজন ডাক্তার। ***সতর্কবার্তা: চিকিৎসকদের পরামর্শও সরাসরি তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে নিচে বর্ণিত পরীক্ষাগুলো করা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া ঝুঁকির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কারও অবস্থার উন্নতি না হলে বা কোন কারণে অবনতি হলে তার প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য নানা ধরণের টেস্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, সঠিক চিকিৎসার জন্য কিছু টেস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসি বাংলাকে এমন কিছু টেস্ট সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন মিস্টার হোসেন: ১. সিবিসি একজন রোগীর শরীরে যে কোন সংক্রমণ দেখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টের মাধ্যমে চিকিৎসকরা শরীর সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা পান। এটি একটি টেস্ট প্রোফাইল। এর মধ্যে অনেকগুলো ধ্রুবক থাকে। ব্লাড সেল বা রক্ত কণিকার কাউন্ট বা পরিসংখ্যান দেখা হয় এর মাধ্যমে। রক্তের কণিকা কোন পর্যায়ে আছে সেটি বোঝার জন্য করোনায় আক্রান্তদের এ টেস্টের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকায় এক হাসপাতালে রোগীর নমুনা পরীক্ষার আয়োজন চলছে ২. সিআরপি শরীরে কোন চলমান সংক্রমণ আছে কি না সেটি বোঝার জন্য চিকিৎসকরা এ টেস্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন (সিআরপি) পরীক্ষা ডাক্তারদের হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ধারণেও সাহায্য করতে পারে। ৩. প্রোক্যালসিটোনিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর অবস্থা অনেক সময় দ্রুত খারাপ হয়ে যায় মারাত্মক সংক্রমণের কারণে। জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে এমন মারাত্মক ধরণের ব্যাকেটরিয়াল ইনফেকশন বোঝার জন্য এই টেস্ট করা হয়। ৪. ফেরেটিন রক্তে আয়রনের মাত্রা দেখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখার জন্য পরীক্ষার জন্য এ টেস্ট করা হয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের এক পর্যায়ে আয়রন ঘাটতি তৈরি হয়। সেটি বোঝার জন্যই চিকিৎসক এই টেস্টটি দিয়ে থাকেন। ৫. আরবিএস কারও শরীরে ডায়াবেটিস আছে কি-না বা রক্তে সুগার লেভেল সম্পর্কে জানতে এই পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাস: চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়েই নিঃস্ব যারা ৬. এস ক্রিয়েটিনিন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কিডনি কতখানি কর্মক্ষম আছে। ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে হলেই বোঝা যায় তার কিডনি সমস্যা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের কিডনি নিয়ে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য এ টেস্ট দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ৭. ডি ডাইমার রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি মাপার আরেকটি একক হলো ডি-ডাইমার নামে একটি প্রোটিন। স্বাস্থ্যবান রোগীর রক্তে এটা দশক থেকে শ'য়ের হিসেবে মাপা হয়। কিন্তু কোভিড রোগীর দেহে এই স্তর ৬০, ৭০ বা ৮০,০০০ পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। তাই রক্তে জমাট বাঁধছে কি-না সেটি বোঝার জন্য এই টেস্ট। ৮. এইচআর সিটি স্ক্যান ফুসফুসের অবস্থা দেখার জন্য এটি করা হয়। এক রোগীর করোনা পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি করোনা মুক্ত, কিন্তু উপসর্গ রয়েছে। পরে তাকে এইচআর সিটি স্ক্যান করোনো হলে দেখা গেল, তার নিউমোনিয়ার লক্ষণ রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি এই পরীক্ষাগুলোরও বিশেষ কার্যকারিতা আছে। এছাড়া বুকের এক্স রে-র মাধ্যমেও প্রাথমিকভাবে ফুসফুসে সংক্রমণ আছে কি না দেখা যায়। সাধারণভাবে প্রাথমিক অবস্থা বোঝার জন্য এক্স রে করা হয়। সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের আশা জাগাছে বুয়েটের 'অক্সিজেট' ৯. এবিজি আর্টেরিয়াল ব্লাড গ্যাস বা এবিজি টেস্টের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। রক্তচাপ ও হার্ট রেট দেখার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। ১০. আইএল-৬ মূলত ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা বোঝার জন্য এই টেস্টটি করা হয়। এর মাধ্যমে ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো তা চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন। এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, আইএল-৬ এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যুহারের সম্পর্ক আছে। ১১. আরটি পিসিআর করোনার লক্ষ্মণ দেখা দিলে বা এমনকি কোন করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলেই করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। আর করোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য টেস্টটির নামই আরটি পিসিআর টেস্ট। কোভিড-১৯ ভাইরাসটির কারণে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা সেটা বুঝতে গলার ভেতরে এবং নাকের গোড়ার কাছ থেকে তুলা দিয়ে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আর এই পরীক্ষাটির নাম হল 'রিয়াল টাইম পিসিআর' বা রিয়াল টাইম পলিমারেস চেইন রিঅ্যাকশন। পরে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে রোগী পজিটিভ নাকি নেগেটিভ। হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীর মরদেহ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে টেস্টগুলোতে খরচ কেমন এবং কোথায় করা যায়? স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী দেশে এ মুহূর্তে ১২৭টি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫২টি সরকারি ও বাকী ৭৫টি বেসরকারি। সরকারিগুলোতে এ পরীক্ষার ব্যয় খুবই কম হলেও বেসরকারিগুলোতে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। সরকারি বুথ বা হাসপাতালে নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান ফি ১০০ টাকা আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরো এক হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়া উপরে উল্লেখ করা পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের খরচের মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালে উপরের সবগুলো টেস্ট করার জন্য ১১/১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে চিকিৎসকরা ধারণা দিয়েছেন। তবে বেসরকারি হাসপাতালে এসব টেস্টে ছাড়িয়ে যেতে পারে লাখ টাকাও। "সিটি স্ক্যান সরকারি হাসপাতালে হয়তো তিন হাজার নিবে আর বেসরকারি হাসপাতালে নিবে এর কয়েকগুণ," বলছিলেন একজন চিকিৎসক। | বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক রোগী প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাসায় চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হলেও অনেক রোগীকেই আবার নানা ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বর্তমানে হংকংয়ে টয়লেট টিস্যুর সংকট তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার কারণে হংকংয়ে টয়লেট টিস্যুর সংকট তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, ছুরি হাতে কয়েক জন ব্যক্তি মং কক জেলায় একটি সুপারমার্কেটের বাইরে এক সরবরাহকারী ব্যক্তির কাছ থেকে এসব টয়লেট টিস্যু হাতিয়ে নেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এবং চুরি হওয়া টয়লেট টিস্যুর কয়েকটি উদ্ধার করেছে। সোমবার সকালের দিকে মং কক জেলায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। এই এলাকাটিতে "ট্রায়াড" বা সশস্ত্র গ্যাং থাকার ইতিহাস রয়েছে। অ্যাপলের ডেইলি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬০০ টয়লেট টিস্যুর রোল চুরি হয়েছে যার বাজারমূল্য ১,৬৯৫ হংকং ডলার বা ২১৮ মার্কিন ডলার। শহরটিতে টয়লেট টিস্যুর মজুদ ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার কারণে নতুন সরবরাহ আসার সাথে সাথে তা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় বাসিন্দাদের। যদিও সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়নি তারপরও বাসিন্দারা টয়লেট টিস্যু জমা করে রাখতে শুরু করে। অন্যান্য গৃহস্থালি সামগ্রীও আতঙ্কের কারণে ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে যেমন চাল, পাস্তা এবং পরিষ্কারক দ্রব্য। মুখে পড়ার মাস্ক এবং হাত পরিষ্কার করার দ্রব্য বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়াটা রীতিমত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কারণ মানুষ নিজেদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এগুলো আগেই কিনে ফেলেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৭০০ মানুষ মারা গেছে। পুলিশের এক মুখপাত্র জানায়, "ছুরি হাতে নিয়ে তিন জন ব্যক্তি একজন সরবরাহকারী ব্যক্তিকে শাসিয়ে টয়লেট টিস্যুগুলো নিয়ে যায়।" কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক কেনাকাটার জন্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া গুজবকে দোষারোপ করছে এবং জানিয়েছে যে, খাদ্য এবং গৃহস্থালির পণ্যের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুরেও টয়লেট টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের মতো পণ্যগুলো অস্বাভাবিক হারে ক্রয়ের মুখে পড়েছে। দেশটিতে ৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। করোনাভাইরাস যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের চুলের ব্যবসায় আঘাত হানলো | হংকংয়ে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শত শত টয়লেট টিস্যু রোল চুরি করেছে ডাকাতরা যার বাজারমূল্য মাত্র ১৩০ ডলার। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | মার্কিন ড্রোনকে লক্ষ্য করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস তুলে ধরেছেন আড়ালে থাকা সেসব তথ্য। খবর পাওয়া যাচ্ছে, মি. ট্রাম্প নাকি নিজেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ইরানকে একটি বার্তা দিয়েছেন। ওমানের মাধ্যমে সেই বার্তা তেহরানের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। মার্কিন আক্রমণ হলে কী হতো? ধরা যাক, ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে মত পরিবর্তন করলেন না। তাহলে মার্কিন বাহিনীর আঘাত খুব সম্ভব হতো সীমিত। হয়তো আক্রমণ চালানো হতো ইরানের কিছু রাডার বা ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনার ওপর, এবং তার সাথে যোগ হতো কিছু কূটনৈতিক সতর্কবাণী। তবে, ভুলে যাবেন না যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার এ কথাও বলেছেন যে 'ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা এখনও আছে'। ইরানি টিভিতে দেখানো ধ্বংসপ্রাপ্ত আমেরিকান ড্রোনের কিছু টুকরো ইরানি শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করতে অবশ্য পূর্ণমাত্রার মার্কিন স্থল অভিযান ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই, যদিও হোয়াইট হাউসের কোন কোন লোক তেমন কিছু একটা চায়। এর কারণ - সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ইরান অনেক বেশি জটিল এক চ্যালেঞ্জ। তারা সাদ্দাম হোসেনের ইরাক নয়। ইরানের পাল্টা আঘাত এর পর ইরান নিশ্চয়ই পাল্টা আঘাত হানতো - হয়তো কোন মার্কিন জাহাজ বা বিমান আক্রান্ত হতো। এ ছাড়া ইরান উপসাগরে জাহাজ বা তেলবাহী ট্যাংকারের চলাচল বিঘ্নিত করতে মাইন, ছোট আকারের নৌকা, বা সাবমেরিন দিয়ে আক্রমণ চালাতো। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ মনে রাখতে হবে আমেরিকানদের যে ড্রোন ইরান ভূপাতিত করেছে - তা অত্যন্ত উচ্চ প্রযুক্তির এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য আহরণের যত উন্নত ব্যবস্থাই থাকুক না কেন - তাদের দুর্বলতাও আছে। ইরান হয়তো ভাবছে, তারা যদি কয়েকটা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দিতে পারে - তাহলে মি. ট্রাম্প হয়তো ভাববেন, এত চড়া মূল্যে যুদ্ধ চালানোর দরকার নেই। যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আঘাত হানলে কী হবে? মনে রাখতে হবে - এ যুদ্ধ হবে অসম, অর্থাৎ একটি পক্ষ খুবই শক্তিশালী, অন্য পক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল। ইরানের হামলার জবাবে আমেরিকানরা ইরানি নৌ-স্থাপনা, বিমানঘাঁটির ওপর আঘাত হানতে পারে - বিমান বা ক্রুজ মিসাইল দিয়ে। মানচিত্রে উপসাগর এলাকা তারা হয়তো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারে, ইরইন সামরিক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। কিন্তু ইরান যা করতে পারে তা হলো আমেরিকার এমন কিছু ক্ষতিসাধন করা যা আমেরিকায় জনমতকে এ যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে দেয়া। সংঘাত পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে গেলে কী হবে? চাপের মুখে পড়লে ইরান এই সংঘাতকে ছড়িয়ে দিতে পারে। তার প্রক্সি দেশ যেমন ইরাক, সিরিয়া বা অন্যদেরকে আহ্বান জানাতে পারে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে। এমনকি এটাও হতে পারে যে - হেজবোল্লাহ বা সিরিয়ায় থাকার ইরানি সৈন্যদের সমন্বয়ে ইসরায়েলের ওপর রকেট হামলা হতে পারে। এর লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটনকে এটা দেখানো যে ইরানের ওপর কোন ছোট আকারের আঘাতও পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিতে পারে। উপসাগরে ট্যাংকার আক্রান্ত হবার পর থেকে ইরান-মার্কিন উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে আফগানিস্তান এবং ইরাকের অভিজ্ঞতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এটা বুঝেছে যে আধুনিক যুগে কোন যুদ্ধে প্রচলিত অর্থে 'জয়ী' হওয়া যায় না। ইরানও নিশ্চয়ই মনে করে না যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে 'হারাতে' পারবে। প্রকৃতপক্ষে দু পক্ষই চায় 'কৌশলগত' বিজয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরানকে 'কনটেইন' করতে অর্থাৎ সে যেন একটা সীমার বেশি বাড়তে না পারে। তার সামরিক ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে হয়তো সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। যদিও এতে আবার বিপরীত ফলও হতে পারে, ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ইরানও হয়তো চাইছে, একটা সামরিক সংকট তৈরি করে ট্রাম্প প্রশাসনকে বিপাকে ফেলতে - যাতে আমেরিকার আগামী নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়া যায়। তার ফলে আগামীতে ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে তারা হয়তো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে, নতুন একটি পরমাণু চুক্তিও হতে পারে। মার্কিন ড্রোন তবে ইরানের সমস্যা হলো তাদের হাতে সময় বেশি নেই। মি. ট্রাম্পের হয়তো সে সমস্যা নেই। কিন্তু ইরানের সাথে যুদ্ধ হলে তা হবে ব্যয়বহুল, আর এর ফল কী হবে তা আগে থেকে বলাও কঠিন। হয়তো এতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিও বন্ধ হবে না, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবও কমবে না। এক হিসেবে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করার ফল হয়েছে এটাই যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বেড়ে গেছে। সব সংঘাতেরই এমন কিছু পরিণতি হয় - যা আগেকার হিসেব-নিকেশে বোঝা যায় নি। আরো পড়তে পারেন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী গুলি করে মার্কিন ড্রোন ফেলে দিল ইরান আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? | ইরানের যে আক্রমণের নির্দেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে স্থগিত করলেন - তাকে কোথায় কোথায় আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল? ঠিক কী কারণে তা স্থগিত হলো? ইরান কি পাল্টা আঘাত করতে পারতো? পারলে সেই আঘাত কোথায় হানা হতো? |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | প্যালেডিয়াম স্বর্ণের চেয়েও দামি ধাতু গত দুই সপ্তাহে এই ধাতুর দাম লাফ দিয়ে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় যার মূল্য এখন দ্বিগুণ। এক আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) প্যালেডিয়ামের দাম দুই হাজার পাঁচশ ডলার যেটা স্বর্ণের দামের চেয়ে অনেক বেশি। যে হারে এই ধাতুর দাম বাড়ছে তাতে করে খুব শীঘ্রই এর দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্যালেডিয়াম ধাতু টা কি? কী কাজে এটার ব্যবহার হয়? এবং কেন এটার দাম হু হু করে বাড়ছে? প্যালেডিয়াম কী? এটা দেখতে সাদা চকচকে ধাতু। ধাতুটি প্লাটিনাম ধাতু যে গোত্রের সেই একই গোত্রের। এই ধাতুর গোত্রে রুথেনিয়াম, রেডিয়াম, অসমিয়াম এবং ইরিডিয়ামও রয়েছে। রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্বের বেশিরভাগ প্যালেডিয়াম পাওয়া যায়। খনি থেকে অন্যান্য ধাতু বিশেষ করে প্লাটিনাম এবং নিকেল থেকে নিষ্কাসিত বাইপ্রোডাক্ট বা উপজাত এই প্যালেডিয়াম। এটা কী কাজে ব্যবহার করা হয়? গাড়ির একটা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ 'ক্যাটালিটিক কনভার্টার' তৈরির জন্য এটা মূলত বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ক্যাটালিটিক কনভার্টার গাড়ির দূষিত গ্যাস নির্গমন কমাতে সাহায্য করে। প্যালেডিয়ামের ৮০ শতাংশের বেশি এই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় যেটা বিষাক্ত গ্যাস কার্বন মনোঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড কে কম ক্ষতিকর নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত করে। সম্প্রতি এই ধাতুর দাম এতই বেশি হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী গাড়ির ক্যাটালিটিক কনভার্টার চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। ক্যাটালিটিক কনভার্টার গাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলা তুলনামূলক সহজ লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে সে সংখ্যায় চোর ধরা পরেছে সেটা গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। কেন এর দাম বাড়ছে? এক কথায় বলতে গেলে চাহিদার তুলনায় যোগান কম, সেই কারণেই এর দাম বাড়ছে। ২০১৯ সালে যে পরিমাণে এই ধাতু উৎপাদন করা হয় তখনি পূর্বাভাস দেয়া হয় আগামী আট বছরে বিশ্বে এর যে পরিমাণ চাহিদা হবে তার অনেক নিচে এর যোগান রয়েছে। দাম যে হারে বাড়ছে, তার ফলে খনি শ্রমিকদের প্লাটিনাম এবং নিকেলের চেয়ে প্যালেডিয়াম উৎপাদনের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই যে ঘাটতি সেটা থেকেই যাবে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা যে দেশটি ৪০ শতাংশের কাছাকাছি উৎপাদন করতো গত সপ্তাহে তারা বলছে, প্লাটিনাম গোত্র যার মধ্যে পেলেডিয়ামও রয়েছে তার উৎপাদন কমে ১৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের সাথে ২০১৮ সাথে নভেম্বরে তুলনা করলে এই পরিমাণ অনেক কম। এদিকে গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্যালেডিয়ামের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে এর পেছনে কারণও রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে বিশেষ করে চীনে, পেট্রোল চালিত গাড়ী থেকে বায়ু দূষণ কমানোর নিয়ম-কানুন কঠোর রয়েছে । একই সময়ে ইউরোপে গাড়ি থেকে ডিজেল নির্গমন নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হল সেটারও প্রভাব পরেছে। এর ফলে গ্রাহকরা ডিজেল চালিত গাড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে, যেখানে ক্যাটালিটিক কনভার্টারের প্লাটিনাম ব্যাবহার করা হত। তারা এখন পেট্রোল চালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন যেখানে কনভার্টরে প্যালেডিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে। আবার এই মাসের শুরুর দিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তিও এই ধাতুর দাম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে হামলা একজন প্রিন্স যিনি নিজেই নিজের পথ তৈরি করেছেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? | বৈশ্বিক পণ্যের বাজারে প্যালেডিয়াম ধাতুর দাম বেড়ে গেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | চীন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে প্রমাদ গুনছে সিঙ্গাপুর ওয়াশিংটন ও বেজিং যখন একে অপরের বিরুদ্ধে আরও নতুন নতুন বাণিজ্যিক শুল্ক বা ট্যারিফ বসানোর হুমকি দিচ্ছে, এশিয়ার বহু দেশের বাণিজ্যেই তার মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এই সংঘাতটা এতদিন তারা বাইরে থেকে দেখছিল - কিন্তু এখন সিঙ্গাপুরের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলছে তারা আসলে ভয়াবহ রকম খারাপ দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হচ্ছে। "মুক্ত বাণিজ্যের নামে চীন তার দেশকে কার্যত ধর্ষণ করছে এবং আমেরিকা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে" - প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা এখন আর ওই দুই দেশের গন্ডীতেই আটকে নেই। এই দুই দেশের সংঘাতের মাঝে জাঁতাকলে পড়ে গেছে সিঙ্গাপুরের মতো অনেক দেশ - আর এর জন্য তাদের কত ক্ষতি হতে পারে, সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো এখন সেই অঙ্ক কষতেই ব্যস্ত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: আপনার কি কিছু এসে যায়? উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জিতবে না: চীন চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? সিঙ্গাপুরে ওয়াটসন ইপি ইন্ডাস্ট্রিজ একটি পারিবারিক ব্যবসা যেমন ওয়াটসন ইপি ইন্ডাস্ট্রিজ সে দেশের একটি পারিবারিক ব্যবসা, চীনে তাদের কারখানায় তারা স্পিকার বানিয়ে থাকে। এখন চীনের নতুন যে সব পণ্যকে আমেরিকা নিশানা করছে, তার ফলে তাদের স্পিকারের দাম অনেক বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওয়াটসনের নির্বাহী পরিচালক জয়েস সোও তার বাবার পাশে বসে বলছিলেন, "দুয়ের মাঝখানে পড়ে আমাদের আসলে স্যান্ডউইচের মতো দশা। এখানে আমাদের কন্ঠস্বরও খুব স্তিমিত, গন্ডগোলের ভেতর আমাদের কথাও কেউ শুনতে পাচ্ছে না।" "যদিও আমাদের আশা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং এই বাণিজ্য যুদ্ধ থামবে - সত্যিই জানি না কী হবে, নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যায় না। ঘটতে পারে যে কোনও কিছুই, তাই একটা কোম্পানি হিসেবে সবচেয়ে খারাপটার জন্যই আমরা তৈরি হচ্ছি।" সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য-নির্ভর অর্থনীতিতে এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে - এবং দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া বা তাইওয়ানের মতো এশিয়ার আরও নানা দেশেও এরই মধ্যে সেই আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যমন্ত্রী চ্যাং চুন সিং এই পটভূমিতে একেবারেই আশাবাদী হতে পারছেন না সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যমন্ত্রী চ্যাং চুন সিং। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "বিশ্ব অর্থনীতির ওপর দুনিয়ার আস্থাটা যদি একবার টলে যায় - এই বাণিজ্য যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের লগ্নি বন্ধ করে দেন - তাহলে আমার ধারণা আমাদের সবাইকে এর খুব মারাত্মক পরিণাম ভোগ করতে হবে। আর সেটা হবে সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই।" বিবিসির সংবাদদাতা করিশমা ভাসওয়ানির কথায়, "সিঙ্গাপুর তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হয়ে নানা পণ্য যে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, সেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যটাই ওই গোটা অঞ্চলের প্রাণভোমরা।" "এর সুবাদেই বিশ্ব বাণিজ্যের ব্যাকওয়াটার থেকে এশিয়া সামনের সারিতে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন সেই এশিয়াই মাঝখানে পড়ে হাঁসফাঁস করছে - কারণ তারা পড়ে গেছে দুনিয়ার দুই সুপারপাওয়ারের লড়াইয়ের মাঝখানে।" আর তাই ওই অঞ্চলের শিল্পগুলো এখন সেটাই করছে যা তারা করতে পারে - লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে সতর্ক নজর রাখছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: শিক্ষার্থীরা মুক্তি পেলেও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন আমাকে ইমপিচ করলে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে: ট্রাম্প কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন | আমেরিকা ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের ধাক্কা এর মধ্যেই এসে পড়তে শুরু করেছে এশিয়ার নানা দেশে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পুলিশ সার্জেন্টের পোস্ট করা এই ভিডিও নিয়ে ফেসবুক সরগরম পুলিশ সার্জেন্ট ঝোটন শিকদারের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পার্কিং করা নিয়ে কালো রঙের গাড়িতে পেছনের সিটে বসা এক মহিলার সাথে তার কথা কাটাকাটি চলছে। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, "গাড়ি ডাবল করে রেখে মানুষকে হয়রানি করছেন কেন? উত্তর দেন।" ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ মহিলা বলে ওঠেন, "আমাকে চেন তুমি? কার গাড়ি জানো?" ক্ষুব্ধ ঐ নারীকে এরপর বলতে শোনা যায়, "কার গাড়ি ছবি তোলো তুমি? এটা সরকারি দলের লোকের গাড়ি...বেশি তেড়িবেড়ি করবা না। তোমার মত সার্জেন্ট, কয় টাকা বেতনের চাকরি করো...আমরা প্রধানমন্ত্রীর লোক...অমার বাবা জাতীয় কমিটির সদস্য, এমপি.." জবাবে সার্জেন্ট শিকদারকে বলতে শোনা যায়, "আমি দুই টাকা বেতনের চাকর..।" ঐ মহিলাতে তখন বলতে শোনা যায়, "চাকরই তো।" ঝোটন শিকদার মঙ্গলবার এই পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজটি পোস্ট করার পর তা নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিশ ঘণ্টায় ১২ হাজার লোক পোস্টটি শেয়ার করেছেন। পাঁচ হাজার মানুষ মন্তব্য করেছেন। সিংহভাগ মানুষই ঐ মহিলার ক্ষমতা প্রদর্শনের তীব্র সমালোচনা করছেন। আচার্য মিলন নামে একজন লিখেছেন, "...মেয়েকে ভদ্রতার শিক্ষা না দেওয়ায় তার ক্ষমতাশালী বাবাকে ক্ষমতাহীন করা হোক..." শেখ শফিউল্লাহ নাম একজন মন্তব্য করেছেন, "মহিলাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তিনি রাস্তায় সরকারি দলের নাম বিক্রি করছেন।" সামিয়া আরিন নামে একজন লিখেছেন, "...বাচ্চারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল শৃঙ্খলা কাকে বলে। তাও ধামড়া ধামড়া মানুষগুলোর একটুও লজ্জা লাগেনা অনিয়ম করতে।" আরো পড়তে পারেন: "সব পুলিশ এমন হলে বদলে যেত বাংলাদেশ" 'ঢাকায় ভিআইপি লেন তৈরির মানসিকতাই অগ্রহণযোগ্য' ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে মশকরা বিবিসিকে সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার টেলিফোনে সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার বিবিসিকে বলেন, ঐ মহিলার গাড়িটি "ডাবল করে" পার্কিং করে রাখার ফলে পুরো রাস্তাটিতে প্রচণ্ড যানজট তৈরি হয়ে যায়। "আমি উনাকে বললাম দ্রুত তার ড্রাইভারকে ফোন করে ডেকে গাড়িটা যেন সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেন, কিন্তু বদলে তিনি আমাকে ধমকাতে শুরু করে দেন।" এই ঘটনা এবং তা ফেসবুকে প্রচার নিয়ে কোনো চাপের মুখে পড়েছেন কিনা - জানতে চাইলে মি শিকদার বলেন, উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি তার মুখ থেকে জানতে চেয়েছিলেন। ঝগড়ার ছবি কেন তুললেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, "অনেক সময় মহিলারা হয়রানির নানা অভিযোগ করেন। আমি তাই প্রমাণ রাখার জন্য ছবি তুলেছি।" ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা কি পুলিশের বিধির ভেতরে পড়ে? এই প্রশ্নে সার্জেন্ট শিকদার স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, "ভাল করেছি কি মন্দ করেছি মানুষ সেই সিদ্ধান্ত নেবে। বিধি ভঙ্গ করেছি কিনা তা আমার সিনিয়রদের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমার নিজের কোনো অনুতাপ নেই। " সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার তবে ফেসবুকে শত শত মানুষ সার্জেন্ট শিকদারের প্রশংসাই করছেন। কালো রঙের ঐ গাড়ির বিরুদ্ধে বেআইনি পার্কিং করে যানজট তৈরির একটি মামলা হয়েছে। যাত্রী ঐ মহিলার সাথে কথা বলার জন্য বিবিসির পক্ষ থেকে ফেসবুকে মেসেজ করা হয়েছিল। তিনি এখনও সাড়া দেননি। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'দেখেছি মায়ের পাশেই তার মৃত শিশুর মরদেহ ভাসছে' বাংলাদেশের প্রথম এশিয়া কাপ ফাইনালে কী ঘটেছিল? মুশফিক ও ওয়ানডে ক্রিকেটের পাঁচটি স্মরণীয় ৯৯ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচের দারুণ কিছু মুহূর্ত | ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি স্কুলের সামনে রাস্তায়। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | কাশ্মীরে এখনো যে কোনো ধরণের প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ওই দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ, নতুন চাকরী থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে চলেছে বলে জাতির উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া ভাষণে জানান মি. মোদী। ভারত শাসিত কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই আশ্বাসও দিয়েছেন, ওই রাজ্যে যে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এখন রাখা হয়েছে, সেই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। ঈদ পালন করতে যাতে সেখানকার মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থাও সরকার করছে বলে জানিয়েছেন মি. মোদী। প্রায় চল্লিশ মিনিটের এই ভাষণের প্রথম দিকে মি. মোদী ব্যাখ্যা করেন যে কেন সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫ এ ধারা দুটি প্রত্যাহার করার প্রয়োজন ছিল। "ওই দুটি ধারার কারণে সেখানে এতবছর ধরে সন্ত্রাসবাদ, পরিবারতন্ত্র আর দুর্নীতি ছাড়া আর বিশেষ কিছু হয়নি। তিন দশকে ৪২ হাজার নির্দোষ মানুষের প্রাণ গেছে। ভারতের অন্য সব নাগরিক যেসব অধিকার ভোগ করতেন, সেগুলোর অনেকগুলি থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরা বঞ্চিত ছিলেন," ব্যাখ্যা মি. মোদীর। এমনকি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তান থেকে যে বহু মানুষ ভারতে চলে এসেছিলেন, তাদের অনেকেরই ভোটাধিকার এখনও নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার সরেজমিন: কাশ্মীরে আতংক, ক্ষোভ যেভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে কাশ্মীরের তরুণরা কাশ্মীর: যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার মধ্যে কেমন আছে রাস্তাঘাট দোকানপাট সব বন্ধ শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে নারীদের অধিকার, সাফাই কর্মচারী, শ্রমিক বা দলিত শ্রেণীর মানুষ অথবা সরকারী কর্মচারী, পুলিশ - জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের সকলেই যে ভারতের অন্যান্য নাগরিকদের থেকে কম অধিকার আর সুযোগ সুবিধা পেতেন, ভাষণে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মি. মোদী। ভাষণের দ্বিতীয় অংশে নরেন্দ্র মোদী জানান জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখ - এই দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। কয়েক মাস আগে পূর্বতন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে হওয়া স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই যে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে, সেটার উল্লেখ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই তিনি বলেন সেনাবাহিনী আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীগুলিতে ওই দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে বড় ধরণের নিয়োগ শুরু করবে। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি, ফিল্ম-শুটিং, ক্রীড়া, ভেষজ রপ্তানি, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ সব ক্ষেত্রের বিনিয়োগকারীদের কাছে আহ্বান জানান কাশ্মীরে যাতে তারা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। সদ্য বিলুপ্ত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের নানা ক্ষেত্রে যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তার বিস্তারিত জানান প্রধানমন্ত্রী। ঢাকায় কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ বক্তৃতার শেষ অংশে ছিল ৩৭০ আর ৩৫এ ধারা দুটি বিলোপের কারণে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে, তা নিয়ে। "কেউ কেউ এই ধারাদুটি বিলোপের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করছেন। গণতন্ত্রে এটা চলতেই পারে। কারও ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কিন্তু তাদের অনুরোধ করব, দেশহিতকে সবথেকে বেশী গুরুত্ব দিন। দেশের যাতে ভাল হয়, সেটা খেয়াল রাখুন। সরকারকে দেশহিতে কাজ করতে সহায়তা করুন। দেশের মানুষের আবেগকে সম্মান দিন," বলছিলেন মি. মোদী। কয়েকদিন ধরে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থেকে কাশ্মীরের মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে, সেটা তারা নিজেরাই সামলাচ্ছেন বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। "ক'দিনের মধ্যেই ঈদ আসছে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। সরকার আর নিরাপত্তা বাহিনী চেষ্টা করছে যাতে সেখানকার মানুষ ভাল করে ঈদ পালন করতে পারেন। বাইরে থেকে যারা ঈদ উপলক্ষে কাশ্মীরে নিজের বাড়ি ফিরতে চান, তাদের যথাসম্ভব সহায়তা করা হচ্ছে," বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে, ভাষণের একেবারে শেষে তিনি সবাইকে আহ্বান করেন, "আসুন আমরা সবাই মিলে একটা নতুন জম্মু-কাশ্মীর, নতুন লাদাখ গড়ি।" | ভারতে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙ্গে লাদাখকে বিধানসভাবিহীন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আর জম্মু-কাশ্মীরকে বিধানসভা-যুক্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে আইন পাশ করা হয়েছে দুদিন আগেই। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটাই হবে মহামারি শুরুর পর প্রথম কোন পাবলিক পরীক্ষা। আজ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কি সিদ্ধান্ত হয়েছে? বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক সংবাদ ব্রিফিং-এ বিষয়টি জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "কওমি মাদ্রাসাগুলো আপিল করেছিল যে তারা উপরের লেভেলের পরীক্ষাগুলো নিতে চায়, দাওরায়ে হাদিস অর্থাৎ গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্স পর্যায়ের। সরকার তাতে সম্মত হয়েছে। তবে জেনারেল কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলবে না।" বাংলাদেশে ছয়টি মাদ্রাসা বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত আল হাইআতুল উলয়া বোর্ডের সদস্যদের একজন মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ জানিয়েছেন, "সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোন প্রজ্ঞাপন পাইনি। আশা করি পেয়ে যাব।" মি. ফয়জুল্লাহ জানিয়েছেন মাস্টার্স পর্যায়ে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের মতো। তিনি বলেন, "মাদ্রাসা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি চেয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে এক চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।" ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদ্রাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই মহামারির কারণে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সেপ্টেম্বরে কি স্কুল খুলবে? এইচএসসি পরীক্ষা কবে হতে পারে? এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কী ভাবছে কর্তৃপক্ষ? নিরাপদে স্কুল খুলতে যেসব নির্দেশনা মানার প্রস্তাব করা হয়েছে করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? এর আগে হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালুর অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মহামারির কারণে যেসব পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা মহামারির কারণে এখনো আটকে রয়েছে এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এপ্রিল মাসে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। একই মাসে হওয়ার কথা ছিল অষ্টম শ্রেণি শেষে জেএসসি বা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা। সেটিও অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। গত সপ্তাহেই পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা না নেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মতামত পাঠানো হয়েছে৷ তবে করোনাভাইরাস মহামারির আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা কিন্তু এর ফল ঘোষণাতে অনেক সময় নেয়া হয়। বাংলাদেশে ১৭ মার্চ থেকে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে তবে সেপ্টেম্বরে অথবা কবে নাগাদ স্কুল খুলবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। মহামারির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে যে কারণে পরীক্ষা অনুমতি বাংলাদেশে এর আগে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালুর অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। অন্যান্য সকল পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত থাকলেও কওমি মাদ্রাসাকে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি কী কারণে দেয়া হচ্ছে , সেটি ঠিক পরিষ্কার নয়। বিষয়টি কথা বলতে আমি যোগাযোগ করেছিলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে। তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। কিন্তু মহামারির মধ্যেই কওমি মাদ্রাসায় পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো এমন অভিযোগে সম্প্রতি বুয়েটের ছাত্রাবাসের একাধিক কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের মধ্যে এই টর্চার সেল বা নির্যাতনের একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে বলে চলছে সমালোচনা। বুয়েটের হলে থাকা এক ছাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাকেও শিবির সন্দেহে রাতভর দফায় দফায় পেটানো হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে আতঙ্কে বিষয়টি গোপন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্র বলেন নির্মম ভাবে তাকে পেটানো হয়G "আমি আমার এলাকার এক নেতার দুর্নীতি আর ব্যাংকের অর্থ চুরির খবর ফেসবুকে দিয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার অপরাধ।" "রাতে রুমে দশ বারোজন এসে আমাকে জেরা করে। বলে আমি শিবির কিনা! প্রথমে চড় মারে। এরপর স্ট্যাম্প দিয়ে মারে। আমার পেছনে মারছিল পায়ে মারছিল। ধরেন রাত ১২টা থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত এভাবে চলেছে।" শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলে টর্চার সেল নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। ভুক্তভোগী ছাত্ররা বলছেন, সরকারের সমালোচনা, অন্যায়ের প্রতিবাদ বা দুর্নীতি অনিয়মের খবর কেউ ফেসবুকে প্রচার করলেই সে ছাত্রলীগের জেরার নামে নির্যাতনের টার্গেট হয়েছেন। তুচ্ছ অপরাধেও নানারকম হয়রানি আর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বহু ছাত্রকে। এমনকি প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগের হল শাখার নেতারাও আক্রান্ত হয়েছেন। ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অপসারণ এবং আবরার ফাহাদের ঘটনার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে আসছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটির হল শাখার একজন পদধারী নেতা জানান, ফেসবুকে একটা পোস্টের কারণে তাকে যিনি নির্যাতন করেন তার দখলে থাকা রুমটি সিলগালা করে দিয়েছে হল প্রশাসন। "আমাকে চড়থাপ্পড় মারা হয়। পিস্তল মাথায় ঠেকিয়েছিল। কিন্তু মারে নাই। আমিও অনেক ভয় পেয়েছিলাম। এদের কারণেই ছাত্রলীগের দুর্নাম।" বুয়েটের হলে থাকা এক ছাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাকেও শিবির সন্দেহে রাতভর দফায় দফায় পেটানো হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে আতঙ্কে বিষয়টি গোপন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মশিউর রহমান জানান, প্রথম বর্ষেই ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যোগ দেয়ার পর তাকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দেয়া হয়। এরপর থেকে হল ছাড়া হয়েছেন তিনি। "আপনি একটু ভিন্নমতের হলে আপনাকে প্রথম যেটা বলা হবে যে আপনি শিবির! এই শিবির বলে নির্যাতন করা হয়। আর শিবির বলার পর আর কেউ কোনো কথা বলার সাহস পায় না।" শুধু বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের হাতে এমন নির্যাতনের একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছ বলেই অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনই নয়, নির্যাতন বা টর্চার সেল সংস্কৃতি দেখা যাচ্ছে সরকারি দলের যুব সংগঠনেও। সম্প্রতি ঢাকায় র্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতাদের অফিসে অবৈধ অস্ত্র ছাড়াও নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের সঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেয়ার মেশিন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। র্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতাদের অফিসে ইলেকট্রিক শক দেয়ার মেশিন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের এক নেতার মাধ্যমে একজন ভুক্তভোগী জানান, রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে আইন আদালত, পুলিশ প্রশাসন কিছুই তোয়াক্কা করতেন না যুবলীগের আটক নেতা। বেআইনিভাবে তার সম্পত্তি আরেকজনকে দখল করে দিয়েছেন যুবলীগের আটক নেতা। যুবলীগ নেতার অফিসে কয়েকবার ডেকে নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ভুক্তভোগীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ব্যক্তি জানান, তাকে শারীরিক নির্যাতন না করলেও মানসিক নির্যাতনের শিকার তিনি। "একাধিকবার আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে যায় এবং সরাসরি আমাকে বলে দেয় কোনো কিছু করে কোনো লাভ হবে না।" "যদি আপনি আইনের আশ্রয় নেন পুলিশের কাছে যান আপনার আরো ভয়ানক পরিস্থিতি হবে। এ এলাকার সর্বেসর্বা বলতে তাকেই বোঝাতো। সেটাকে মাফিয়া নাম দিবেন না ডন নাম দিবেন বা সন্ত্রাসী নাম দিবেন সেটা আপনারাই ভাল বোঝেন"! ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে এমন নির্যাতনের সংস্কৃতি জনমনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। বুয়েটে নির্যাতনের কারণে নিহত আবরারের বিচার দাবিতে গ্রাফিতি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ বলেন বিষয়টি শঙ্কার। "এই অল্প তরুণ বয়সে তারা কেন এমন নির্দয় নিষ্ঠুর ভূমিকা পালন করবে। আমার মনে হয় আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে।" এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগের টর্চার সেল বা নির্যাতনকারীদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ। আর অভিযানে আটক হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে যুবলীগ তাদের বহিষ্কার করছে। সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে অনেকে এসব নিয়ে বিব্রত। শিপা হাফিজ কিন্তু প্রশ্ন হলো ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এরা কি প্রশ্রয় পেয়েছে? আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, "যখনই কোনো ছাত্র বা যুবলীগ বা যেকোনো সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।" ক্ষমতাসীন দল দায় এড়াতে চাইলেও অনেকের প্রশ্ন তাহলে এই যে নির্যাতন আর টর্চার সেলের সংস্কৃতি কিভাবে গড়ে উঠলো? শীপা হাফিজ বলেন, দুর্বলের ওপর শক্তিমানের নির্যাতনের ঘটনা সবক্ষেত্রেই বেড়েছে। "মুখে বলা হচ্ছে আমরা সমর্থন করি না কিন্তু এটা বন্ধ করার জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা না দেখি আমরা মনে করি যে সমর্থনই করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে টিকতে পারে না বাঁচতে পারে না।" আরো খবর: ভোলায় বিজিবি মোতায়েন, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ভোলায় থমথমে অবস্থা, মুসলিম ঐক্যের সভা স্থগিত 'পাকিস্তান - ভারত পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে' হিন্দি-উর্দুর আগ্রাসন রোধে কলকাতায় অভিনব প্রচারণা | বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের নির্যাতন এমনকি টর্চার সেল গড়ে তোলার কথা জানা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে যুবলীগের নেতাদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেছে নির্যাতনের জন্য টর্চার সেলের অস্তিত্ব। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | চীন মাঝে মধ্যেই এদিক ওদিক থেকে উঁকি মারে বটে, ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকেও পড়ে দু'একবার। তবে দু'তরফেই কিছু হম্বিতম্বির পর তা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এবং তা নিয়ে দেশের লোকের যেমন কোন মাথা ব্যথা থাকে না। তেমনি, চীন শত্রু হিসেবে জনমানসে যেন তেমন রেখাপাতও করে না। কিন্তু দেশভাগের পর থেকে আজ পর্যন্ত পাকিস্তানই আমাদের কাছে এক এবং একমাত্র শত্রু হিসেবে চিহ্নিত থেকেই যাচ্ছে। হয়তো অমীমাংসিত কাশ্মীর সমস্যা তার প্রধান কারণ। জানি না, কাশ্মীর সমস্যা মিটে গেলে (যদি কোন দিনও তা মেটে) পারস্পরিক শত্রুতার অবসান ঘটবে কিনা। কারণ ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের মধ্যেই লাইন অফ কন্ট্রোল এবং যুদ্ধ-বিরতি লঙ্ঘনের পারস্পরিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রচ্ছন্ন ধারাবাহিকতাও বজায় থেকেই যাচ্ছে। আর আমজনতা আমরা থেকে থেকেই দেখছি কাশ্মীর নিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। সীমন্তে মহড়া: আজ পর্যন্ত পাকিস্তানই ভারতীয়দের কাছে এক এবং একমাত্র শত্রু হিসেবে চিহ্নিত থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু কেবলই মনে হয়, এই সমস্যা কি এতটাই কঠিন যে, আমরা ৭০-৭২ বছরেও তার সমাধান করে উঠতে পারলাম না? নাকি আদৌ করতে চাই না? আমি অবশ্য এই কূটতর্কে বা এই ব্যাপারে ইতিহাসের সত্য-মিথ্যা কার্যকারণ বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তো দেখছি, দু'দেশের মধ্যে এই যে নিরন্তর আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে, জঙ্গি হামলায় এবং জঙ্গি দমনের নামে শিশু ও নারীসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষের জীবনহানি ঘটেই চলেছে। মনে হচ্ছে তাতে কি শেষ পর্যন্ত কোথাও পৌঁছনো যাচ্ছে? এই দু'দেশের কেউই কি সত্যিই মনে করছে - আমরাই জিতছি? কেউ কেউ করছে হয়তো। কারণ আমাদের দেশে একটা চলতি ধারণা, যখনই এই যুদ্ধ বা ছায়া যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হোক না কেন, তাতে সেই সময়ের কেন্দ্রীয় সরকার, তথা শাসক দলের রাজনৈতিক লাভের একটা ব্যাপার জড়িয়ে থাকে। বিশেষত যদি থাকে আসন্ন কোন নির্বাচনের সম্ভাবনা । এবং সেই নির্বাচনের ফলাফলও, পাকিস্তানকে যদি 'উচিত শিক্ষা' দেওয়া যায়, তাহলে তার গৌরব অনেকটাই নাকি শাসক দলের পক্ষে যায় - এমন দাবি অনেকে করে ।ঠিক যেমন এখনও করা হচ্ছে। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন )। অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর: আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে জীবনহানি ঘটেই চলেছে। কিন্তু আশ্চর্য লাগে এই ভেবে যে, কী কংগ্রেস রাজত্ব, কী এনডিএ, কী ইউপিএ - যে শাসকই লঙ্কায় যাক না কেন, কাশ্মীর উপত্যকাবাসীদের কাছে শেষ বিচারে সেই যেন রাবণ হয়ে উঠছে। কারণ তারা দেখছেন, যুগের পর যুগ পার হয়ে যাচ্ছে - নিরাপত্তাহীনতার গাঢ় আঁধার ঘুচিয়ে কেউ তাদের স্বাভাবিক সম্মানের জীবন ফিরিয়ে দিচ্ছে না। তার ওপর ইদানিং ভারত আবার 'দেশপ্রেম' নামক নতুন এক জ্বরে আক্রান্ত। যে জ্বর থেকেই উঠে আসা 'দেশপ্রেমী' ও 'দেশদ্রোহী', দুটি শব্দই যেন এই মুহূর্তে ভারতের আসমুদ্র হিমাচল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কে কত বড় দেশপ্রেমী এবং কে কত ভয়ঙ্কর দেশদ্রোহী, তার কাটা ছেঁড়া চলছে অনুক্ষণ । কিন্তু মনে হচ্ছে, পরাধীন ভারতে যে সংজ্ঞায় দেশপ্রেমী শব্দটির ব্যবহার হত আজও কি তা অবিকৃত আছে? নাকি বদলে গিয়েছে তার রং রূপ? কারণ, দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে প্রবল আকাঙ্ক্ষা, ভালবাসা, যে আত্মত্যাগের আবেগে লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ নির্বিশেষে হৃদয় একদিন উদ্বেলিত হয়েছিল - যার থেকেই হয়তো তখন সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতিতে দেশপ্রেম ও দেশপ্রেমী হয়ে উঠেছিল বহুচর্চিত শব্দ। নির্বাচনী প্রচার: পাকিস্তানকে 'উচিত শিক্ষা' কি শাসক দলের পক্ষে যায়? আর যারা ঠিক তার উল্টো পথে সেদিন হেঁটেছিল, স্বাধীনতার জন্য কোন গণআন্দোলনেই যোগ না দিয়ে বরং নানা ভাবে তার বিরোধিতা করেছিল; জাতির পিতাকে বুলেটবিদ্ধ করতেও যাদের হাত কাঁপেনি, তাদের ললাটেই তো ছাপ পড়েছিল 'দেশদ্রোহী'র। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন)। কিন্তু আজ যেন দেখছি সেই ললাট লিখন হঠাৎই বদলে গেছে। এক কালের 'দেশদ্রোহী' রাই হয়ে উঠছে বিরাট 'দেশপ্রেমী'। এবং দেশের নাগরিকদের প্রতি তাদের অসমর্থনযোগ্য কাজের বা আচরণের দিকে যারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তাদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যারা, তাদেরই একবাক্যে 'দেশদ্রোহী' র কাঠগড়ায় তুলে দেওয়া হচ্ছে। 'দেশবিরোধী'র তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে তাদের গায়ে, সে রাজনীতিক, সাহিত্যিক-শিল্পী-অভিনেতা-অভিনেত্রী এমনকি একেবারে আমজনতা - যেই হোন না কেন। আর ফেক নিউজ বা মিথ্যে খবরের তাণ্ডবে যে ঘটমান বর্তমানের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি, তাতেও তো পদে পদে কেবলই বিমূঢ় হতে হচ্ছে । কারণ এই মুহূর্তে যে খবর আমরা কাগজে পড়ছি বা দেখছি তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমের উন্মাদনা: বালাকোট আক্রমণ নিয়ে প্রচুর সন্দেহ থাকলেও উৎসব থেমে নেই। এমনকি সম্প্রতি বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আক্রমণের যে ঘটনা সত্য বলে প্রতিভাত হচ্ছিল, দেশের বহু মানুষ যার প্রভাবে এক অভাবিত আবেগ এবং প্রায় হিস্টিরিক উন্মাদনায় ভেসে যাচ্ছিল, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার সত্যতা নিয়ে দেশে বিদেশে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা প্রশ্ন তুলে দিল। এবং মিথ্যে বলে তার সপ্রমাণ দাবিও আছড়ে পড়তে থাকল সংবাদ মাধ্যমে। এমনকি দেশের শাসক দলের প্রতিনিধিরাও যে ঘটনা, যে সংখ্যাতত্ত্বের জন্য সত্যের দাবিতে হাঁক পাড়ছেন এবং তাও যখন মিথ্যে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন বাস্তবিকই সত্যি-মিথ্যের প্রবল ধন্দে কিছুটা বিপন্ন বোধ করছি বইকি। তবে আবার এও মনে হচ্ছে, ক্ষমতা অর্জন ও তাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে দেশের রাজনৈতিক নেতারা না হয় নিরবধি কাল ধরে কেবল পাকিস্তানকেই শত্রু বলে কামান দেগে যাবে। কিন্তু আমরা সেই শত্রু নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি কেন? দেশে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি, দারিদ্র, কুসংস্কার, অ-শিক্ষা, অ-স্বাস্থ্য, দেশের নানা প্রান্তের তীব্র জল-সঙ্কট আর দূষণ ভারাক্রান্ত পরিবেশকে কি আমরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারছি না? যা আমাদের সামগ্রিক জীবনকে কেবলই বিপর্যস্ত করে তুলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার তুলে নিতে আমরা এত সময় নিচ্ছি কেন? | সেই ছোটবেলা থেকেই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ এবং 'ছায়াযুদ্ধ' দেখে আসছি। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.