instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ৩রা মে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের খোঁজ মিলেছিলো মি. কাজলের ছেলে মনোরম পলক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বেলা এগারটার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় পৌঁছেছেন তার বাবা। কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট থেকে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম কাজল। গত ১১ই মার্চ পুরনো ঢাকার চকবাজার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়েই নিখোঁজ হয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম কাজল। তিনি নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন পর গভীর রাতে যশোরে বেনাপোল সীমান্তের একটি মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করার কথা বলা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। তখন এই সাংবাদিককে দুই হাত পেছনে দিয়ে হাত কড়া লাগিয়ে আদালতে নেয়ার ছবি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। এরপর তেসরা মে থেকে থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগেই গত ১০ই মার্চ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায়। যুব মহিলা লীগের দু'জন নেত্রীও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দু'টি মামলা করেছিলেন। কয়েকটি মামলায় গত তেসরা মে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। গত ১৭ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট দু'টি মামলায় তাকে জামিন দিলে তার মুক্তির সুযোগ তৈরি হয়। পক্ষকাল নামে একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল একই সাথে দৈনিক খবরের কাগজ বণিক বার্তার আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করতেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সাংবাদিককে হাতকড়া পরানোর ছবি নিয়ে এতো সমালোচনা কেন? বাংলাদেশে 'কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ান', বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন? সাংবাদিক ও পাঠকের চোখে
প্রায় নয় মাস পর অবশেষে বাড়ি ফিরলেন ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার আলোচিত ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন শিল্পে বড় আয়ের এটি একটি প্রধান মাধ্যম সিংহ আটকে প্রজনন অথবা শিকার ব্যবসা। সিংহ আটকে রেখে প্রজননের বিতর্কিত প্রবণতার ওপর দুই বছর ধরে চালানো একটি গবেষণা প্রকাশ হওয়ার পর সরকার এই পদক্ষেপ নিলো। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরণের কর্মকাণ্ড সিংহ রক্ষায় নেয়া উদ্যোগগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলছে এবং বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ গ্রহণ করে এই ব্যবস্থা নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার, যা হয়তো দেশটির পেশাদারি শিকার শিল্পের সংশ্লিষ্টদের বিক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশমন্ত্রী বারবারা ক্রেসি বলেছেন, ''আটকানো সিংহের প্রজননের ব্যাপারে বেশিরভাগ প্রতিবেদনেই যা বলা হয়েছে: তাতে আমাদের অবশ্যই সিংহ ধরে প্রজনন বা লালনপালন করা, তার মাধ্যমে এগুলোকে গৃহপালিত করে তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।'' ''আমরা চাই না, সিংহ আটকে প্রজনন করা, আটকানো সিংহ শিকার করা, সিংহ আটকে ব্যবহার এবং সেগুলোকে পোষ মানানো হোক।'' তিনি বলেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, বনে নিয়ন্ত্রিত সিংহ শিকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দেশটির পর্যটন শিল্পে বড় আয়ের এটি একটি প্রধান মাধ্যম। আরও পড়ুন: বাঘ-সিংহ বা জিরাফ কি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে? বণ্যপ্রাণীদের হাস্যকর কিছু মুহূর্ত বঙ্গোপসাগরে হাঙ্গর শিকার কতটা হচ্ছে? সারা বিশ্বে এখনও কতো সিংহ বেঁচে আছে? সিংহ শাবক বেড়ে উঠেছে কুকুরের ভালোবাসায় যে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটি সিংহ, চিতাবাঘ, গণ্ডার এবং হাতি সম্পর্কিত নীতি এবং বিধিবিধান পর্যালোচনা করার জন্য গঠন করা হয়েছে। গণ্ডারের শিং এবং হাতির দাঁতের ব্যবসা বন্ধ করতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছে এই কমিটি। ধারণা করা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় আট হাজারের বেশি সিংহ আটক অবস্থায় রয়েছে, যেখানে বনে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সিংহ। সিংহ আটকে রেখে প্রজননকারীরা বলছেন, তারা বরং এভাবে প্রজনন করার মাধ্যমে বুনো সিংহ রক্ষা করছেন। তবে সমালোচকরা বলেন, এটি খুবই নিষ্ঠুর এবং শোষণমূলক একটি ব্যবস্থা। বন্যপ্রাণী রক্ষায় বৈশ্বিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড অ্যানিম্যাল প্রটেকশন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঘোষণাকে 'বন্যপ্রাণীর জন্য একটি বিজয়' বলে বর্ণনা করেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মমতা ব্যানার্জী : কীভাবে তার উত্থান, কী তার সাফল্যের চাবিকাঠি? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের আভাস ভিক্ষার জন্য অপহরণ: যেভাবে উদ্ধার হল দুই বছরের শিশু ভারতীয় চলচ্চিত্রে যৌন দৃশ্যের নির্দেশনা দেন যিনি
শিকারের জন্য অথবা পর্যটকদের কাছে পোষা শাবক হিসাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে সিংহের প্রজনন বন্ধ করতে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সৈয়দ ইফতেখার আলম প্রকাশ (সৌরভ), সোহেল তাজের ভাগ্নে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনিও ঘটনাটির কথা শুনেছেন। "আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে," তিনি বলেন, "এরপরই আমরা বলতে পারবো কী ঘটেছে।" বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ অভিযোগ করেন যে তার এক ভাগ্নেকে অপহরণ করা হয়েছে। তার নিজের ফেসবুক পাতায় এক স্ট্যাটাসে মি. আহমেদ জানান, তার মামাতো বোনের ছেলে সৈয়দ ইফতেখার আলম প্রকাশ (সৌরভ)-কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। তবে এই ঘটনা কবে এবং কোন পটভূমিতে ঘটেছে সে সম্পর্কে তিনি ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত কোন তথ্য জানাননি। সোহেল তাজ সেই পোস্টে লেখেন, এই অপহরণের পেছনে কারা আছে তা তিনি জানেন। সোহেল তাজের ফেসবুক পোস্ট আরও পড়তে পারেন: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা শ্রীলংকা গৃহযুদ্ধ: এক সময়ের শত্রু এখন স্বামী-স্ত্রী অপহরণকারীদের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে তিনি তার ভাগ্নেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। "অন্যথায় আপনাদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে," তিনি লেখেন, "ঘটনার আড়ালে কারা আছেন তা আমরা জানি।" কিন্তু অপহরণের ঘটনাটি সম্পর্কে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজে পুলিশ বিভাগকে জানিয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে এখনই জানা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক ভাগ্নে অপহৃত হবার খবর বেরুনোর পর এ সম্পর্কে সে দেশের পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যেই বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ওপর ধরপাকড়, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নজরদারি চলছে- বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বৃহস্পতিবার ঢাকা ১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরবের কয়েকজন কর্মী সমর্থককে পুলিশ হঠাৎ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে থাকা এমনই একজন সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি নিউজ বাংলাকে জানান যে তারা প্রতিনিয়ত গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যে আছেন। "বিএনপির লিফলেট বিতরণ করছিল মেয়েরা। আওয়ামী লীগের কয়েকজন ওদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিল। অথচ ওই মহিলারা খালি সমর্থক হিসেবে লিফলেট বিলি করছিল। এরকম ঘটনা ঘটছে অহরহ।" গ্রেফতারকৃত একজন নারীর ভাই জানিয়েছেন, তার বোনকে আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। বিবিসিকে তিনি বলেন, "আমার বোনকে পুলিশে ধরেছে শুনে আমি থানায় গিয়েছি। তখন পুলিশ বলল যে উপর থেকে নির্দেশ আছে। ছাড়া যাবে না। তারা আমাকে কোন কারণই উল্লেখ করে নাই।" সরকারের সাথে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা আরও পড়তে পারেন: গণতান্ত্রিক অধিকার হুমকির মুখে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রচারণায় আওয়ামী লীগ, বিএনপির নজর কোন দিকে? পুলিশ কথা না শুনলে নির্বাচন কমিশন কী করতে পারে ? ঐক্যফ্রন্টের গাড়ি বহরে হামলা এছাড়াও শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা আ.স.ম আবদুর রব জানান, মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ থেকে বের হওয়ার সময় তারা হামলার শিকার হন। এ ঘটনার পেছনেও তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের দায়ী করে বলেন, "তারা রিভলভার দিয়ে ব্ল্যাংক ফায়ার করে দুই তিনটা। এরপরে হকিস্টিক, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে, আমাকে আহত করেছে। আমার ড্রাইভার সিরিয়াসলি আহত, আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত।" "ঘটনাস্থল থেকে ড. কামাল হোসেনের গাড়ি কোনভাবে চলে যেতে পারলেও বাকি ৮/১০টা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।" সরকার এ ধরনের একটা পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে বলে আ.স.ম আবদুর রব অভিযোগ করেন। তবে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান বলেছেন, এ ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকদের বিধিবহির্ভূতভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে কি বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ? মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ওপর ধরপাকড়, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নজরদারি চলছে। সংস্থাটির মতে, নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনকে ঘিরে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে এবং এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি প্রতিষ্ঠানটির নেই। এজন্য বিভিন্ন দেশ ও বিদেশি সংস্থার পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন বলে মনে করেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। বিবিসিকে তিনি বলেন, "সরকার যখন নির্বাচন করে তখন তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন: নির্বাচন কমিশন, বিচার ব্যবস্থা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হয়।" কিন্তু নির্বাচন কমিশনসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পক্ষপাতমূলক বলে তিনি উল্লেখ করেন। মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, "নির্বাচন কমিশন একটি দলের লোকজনের মনোনয়ন বাতিল করছে, অন্য দলেরটা করছে না। শুধু এক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ আমরা দেখছি না।" এই পরিবেশে বিদেশি পর্যবেক্ষক না থাকলে বড় ধরনের সমস্যা না হতে পারে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তার মতে, নির্বাচন কমিশন একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তার মতে, যেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা মোকদ্দমা আছে, ওয়ারেন্ট পেন্ডিং আছে, বা যারা অনেকদিন ধরে পলাতক অবস্থায় ছিলেন, এখন নির্বাচনের সময় মাঠে ফিরে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, "যেসব ক্রিমিনালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ আছে, তারা যদি মাঠে চলে আসে, পুলিশ তো তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেই।" তবে কাউকে ওয়ারেন্ট ছাড়া যেন গ্রেফতার করা না হয়, কোন মানুষকে যেন অযথা হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাকে কঠোর নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রসঙ্গে হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, "এবারের নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা মনে করে যে বাংলাদেশে এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে। এই দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর আছে।" তারপরও সব পক্ষের আস্থা অর্জনে দেশের ১১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দেয়ার কথাও জানান তিনি। এছাড়াও কমনওয়েলথ, ওআইসি ও সার্ক-ভুক্ত দেশগুলোকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে যেসব দেশের রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের সেই সুযোগ দেয়া হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মধ্যে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার আতঙ্কে থাকার অভিযোগ করেছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে পুলিশ সোর্সদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয় এই চা দোকানির নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যারা পুলিশের সোর্স বা অনুচর হিসেবে কাজ করেন, তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। নিহত চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের পরিবার দাবি করছে, পুলিশের এক অনুচর এবং সঙ্গী পুলিশ সদস্যরা চাঁদা দাবি করে, না পেয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে চুলার ওপর ফেলে দিয়েছিল। পুলিশের সোর্স বা অনুচরদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। অনেক সময় পুলিশের সোর্সের দাপটে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন, এমন অভিযোগও রয়েছে। প্রায় দু’বছর আগে ঢাকার মিরপুর এলাকায় বিহারী ক্যাম্প নামে পরিচিত ক্যাম্পে এক বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন করে মোহাম্মদ জনিকে হত্যার অভিযোগ ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। সেই ঘটনাও ঘটেছিল পুলিশের সোর্সকে নিয়ে। মোহাম্মদ জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেছেন, তাদের ক্যাম্পে বিয়ের এক অনুষ্ঠানে একজন পুলিশ সোর্স এসে মেয়েদের প্রতি অশ্লীল আচরণ করছিল। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সোর্সের সেই আচরণের প্রতিবাদ করায় অনুষ্ঠানে গিয়ে পুলিশ আক্রমণ চালায় এবং তাদের দুই ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন বলেছেন, “পুলিশের সোর্সরা কখনও কখনও পুলিশের চেয়েও ভয়াবহতার প্রকাশ ঘটায়। আমরা মনিটরিংয়ে দেখেছি, সোর্সরা নিজেরাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকেন। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার জন্য তারা পুলিশকে তথ্য দেয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।” এসব অভিযোগ মানতে রাজি নন পুলিশের একজন উপকমিশনার বিপ্লব সরকার । তিনি বলেছেন, “পুলিশের সদস্যরা যাদের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে, বিভিন্ন শর্ত মেনে তাদের কাজ করতে হয়। দু’একজন কোন ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।” তবে নূর খান লিটন মনে করেন, পুলিশ সোর্সদের ওপর বেশি নির্ভরশীল এবং সোর্সের দেয়া তথ্য যাচাই বছাই না করেই বেশির ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযান চালায়। এমন নির্ভরশীলতা না কমালে সমস্যা থেকে যাবে বলেই তার ধারণা।
বাংলাদেশে ঢাকার মিরপুর এলাকায় চুলার আগুনে ফেলে চা দোকানিকে হত্যার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং এর আগে চারজনকে পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চীন জুড়ে মানুষ মুখে মাস্ক পড়তে শুরু করেছে। প্রতিনিয়তই চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে এবং আরো সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া পরিকল্পনা করেছে যে, চীন থেকে ফেরত আসা তাদের ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখবে। যা মূল ভূখণ্ড থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ভাইরাসটিকে "ডেভিল বা খুবই খারাপ প্রকৃতির" বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে চীন এটাকে পরাজিত করবে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের-এনএইচসি এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে উঠতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। বুধবার এনএইচসি বলেছে, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সি ফুড মার্কেটে অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর ও তীব্র সংক্রমণ হয় যার কোন নির্দিষ্ট নিরাময় বা প্রতিষেধক নেই। এরইমধ্যে স্টারবাকস চীনে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে, এছাড়া অর্থনৈতিক প্রভাবও মারাত্মক হতে শুরু করেছে। কাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে? অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে। এই ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে চার সদস্যের একটি শ্রীলংকান পরিবার রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ক্যানবেরার সাথে একযোগে কাজ করবে নিউজিল্যান্ড। প্রায় ২০০ জন জাপানি নাগরিক উহান থেকে বিমানে করে টোকিওর হানেডা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আরো ৬৫০ জন জাপানি বলেছে যে তারা ফিরে যেতে চান এবং দেশটির সরকার বলেছে যে তারা আরো ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। জাপানের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফিরে আসা নাগরিকদের মধ্যে অনেকে জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন। তবে উপসর্গ দেখা না দিলেও ফিরে আসা সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে রেখে পরীক্ষা করা হবে এবং এগুলোর ফল না আসা পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কিছু মার্কিন নাগরিকও উহান শহর ছেড়ে গেছে। সিএনএন এর তথ্য মতে, তাদেরকে কম পক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারে তৈরি করা বিশেষ ব্যবস্থায় থাকতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও তাদের প্রায় ২০০ নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে যারা ফিরে আসতে চান। কিন্তু কিছু কিছু ব্রিটিশ নাগরিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অভিযোগ তুলেছেন যে, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। আলাদাভাবে, দুটি বিমান ইউরোপের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে, এরমধ্যে প্রথম ফ্লাইটে ২৫০ জন ফরাসি নাগরিক চীন ছাড়বেন। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটে তাদের ৭০০ নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সংক্রমণের শিকার নাগরিকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। এ পর্যন্ত, দেশটিতে চার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরইমধ্যে, হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণ বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। উহানের সাথে সাথে পুরো হুবেই প্রদেশই যানবাহন চলাচলের দিক থেকে অচল হয়েছে পড়েছে। উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়। ভাইরাস সম্পর্কে সবশেষ তথ্য কী? জার্মানি, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং জাপানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে- যা চীন থেকে ভ্রমণকারীদের ভাইরাস বয়ে আনার ধারণার বিপরীত-এই তথ্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান যিনি এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির প্রধান তিনি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, "আমার মনে হয় এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে, এই প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে পৌঁছাবে এবং এর পরে আর বড় মাত্রায় কোন সংক্রমণ হবে না।" চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে একমত হয়েছে যে, দেশটিতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হবে যাতে তাদের সহায়তায় এই ভাইরাস বোঝা যায়, এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলায় নির্দেশনা পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট শি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আঢানম ঘেব্রেয়েসাসের সাথে বেইজিংয়ে দেখা করেন এবং বলেন: "ভাইরাসটি খুবই খারাপ প্রকৃতির এবং এটিকে আমরা লুকিয়ে থাকতে দেবো না।" সাউথ চীন মর্নিং পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে বলে, ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে একটি হাসপাতাল সাত দিনে তৈরি করা হয়েছে সার্স ভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য। সেই হাসপাতালটিকে আবারো প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার উপযোগী করে তোলার জন্য। উহানেও একই ধরণের একটি হাসপাতাল দ্রুত তৈরি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখলো বিবিসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, চীনের বাইরে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৬০টি ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে থাইল্যান্ডে যেখানে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মানবদেহথেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার নতুন যে খবর এসেছে তা করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। জাপান এবং জার্মানিতে সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো থেকে জানা যায় যে, সংক্রমণের শিকার কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তির মধ্যেও এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে যাদের কাশি এবং জ্বরের উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের মধ্যে এখনো কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর উপসর্গ দেখা দিতে কারো কারো এক সপ্তাহরও বেশি সময় লাগতে পারে। যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে-এর মানে হচ্ছে, আক্রান্ত বা যে সংক্রমণের জীবাণু বহন করছে এমন কারো থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা যাতে নিঃশ্বাসের সাথে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে কিংবা তাদেরকে স্পর্শ করতে না হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু চীনের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সাতাশে জানুয়ারি টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ৫ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হয় এখন থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা মানুষেরা কেবল নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকায় বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। তবে কবে থেকে সেটি বন্ধ হবে, সেটা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি । তিনি বলেছেন, "দেখা যাচ্ছে, যারা অন-দ্য-স্পট রেজিস্ট্রেশন করছে, তাদের সংখ্যাই বেশি। আর যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন কষ্ট করে তারাই ঢুকতে পারছেন না। এখন আমাদের যেহেতু রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে হচ্ছে, ১০ লক্ষের বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তাই এখন থেকে অন-দ্য-স্পট রেজিস্ট্রেশন আর করবো না আমরা।" আরো পড়তে পারেন: গণ-টিকাদান কর্মসূচির শুরুর দিনে ভ্যাকসিন নিলেন যারা প্রথম ধাপে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেবার পরিকল্পনা কীভাবে কাজ করবে শর্ত শিথিল করলো সরকার, আরো যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাস টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা তিনি বলেন, "এখন থেকে যারা নিবন্ধন করে আসবেন, শুধু তাদেরই ভ্যাকসিনেট করবো। আর ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা আবার জানাবো, তখন টিকাদান কেন্দ্রে এসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকা দেয়া যাবে।" স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। বাংলাদেশে ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে একসঙ্গে সহস্রাধিক হাসপাতালে শুরু হয়েছে গণ-টিকাদান কর্মসূচি। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড নামে টিকা এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ কয়েকজন মন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে প্রত্যাশামাফিক রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অন-দ্য-স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়। চালুর পর প্রথম দিনে মোট টিকা নেন একত্রিশ হাজার একশ ষাট জন। এরপর ৮ই ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দিতে বয়সসীমার ক্ষেত্রেও শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি শুরুতে বলা হয়েছিল প্রথম দফা টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারিতে থাকা মানুষেরা এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সীরা টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু সোমবার আনা পরিবর্তনে বলা হয় এখন থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সীরাও স্থানীয় যে কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন, নিবন্ধনও সেখানেই করানো যাবে। এখন সে নিয়মেও পরিবর্তন আসছে। প্রথম দুইদিন টিকা কেন্দ্রগুলোতে তেমন ভিড়ের কথা শোনা না গেলেও, গত দুইদিন ধরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ টিকা নিতে কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হচ্ছিলেন। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য গ্রামাঞ্চলে এবং যাদের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা নেই, তাদের জন্য কাছের টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেয়ার সুযোগ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, ভ্যাকসিনের ওপর মানুষের কনফিডেন্স বাড়ছে, সে কারণে ভিড় বাড়ছে। তিনি বলছেন, এর ফলে হাসপাতাগুলোর ওপরও চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশে 'স্পট রেজিস্ট্রেশন' অর্থাৎ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রেশন করে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে সরকার জানিয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চকবাজারের আগুন ফায়ার সার্ভিস বলছে, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ভবনগুলোতে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ ব্যবস্থা আছে তদারক করা সম্ভব হয়না। আর এ সুযোগেই ফায়ার ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠছে বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক, বিভিন্ন ধরণের কারখানা। যদিও এসব অনুমোদনহীন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের অভিযান চালানোর খবর আসে গণমাধ্যমে কিন্তু বাস্তবতা হলো দেশে প্রতিনিয়ত নিজ উদ্যোগে বাড়িঘর তৈরির কাজ চলছেই। আর সেগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থপতি কিংবা প্রকৌশলীদের সংশ্লিষ্টতা থাকেনা। ফলে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ ব্যবস্থা উপেক্ষিতই থেকে যায়। ছবিতে পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুন বাঙালিদের কেন আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও চলবে? সৌদি আরবের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হলেন যিনি গরুর খামারি রাকবার খানের খুন নিয়ে যে ধোঁয়াশা আবাসিক ভবনে করণীয় কী? স্থপতি ইকবাল হাবিব বলছেন, শুরুতেই নিজের বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টিতে নিজেকেই গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনি। এগুলো হলো: ১. ভবন অনুমোদন প্রক্রিয়াকে না এড়িয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ভবনটিতে নিরাপদ করতে একটি নকশা তৈরি করে সেটি যথাযথভাবে অনুমোদন। ২. স্থপতি ও প্রকৌশলীদের না এড়ানো। ভবন নকশা প্রণয়ন ও সে অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণে যথাযথ ব্যক্তিদের জড়িত রাখলে দুর্ঘটনার ভয় এমনি কমে যায়। এক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর চিন্তার কারণে অনেক সময় পুরো বাড়িই ঝুঁকির মুখে থাকে। ৩. ভবনের প্রকৌশলগত বিষয়গুলোকে অবহেলা না করা। যেমন কোথায় সিঁড়ি হবে, আগুণ লাগলে কোন পথ দিয়ে কিভাবে নিরাপদে বের হবে। ৪. নিরাপত্তার খাতিরে দমকল বাহিনীর পরামর্শ অনুযায়ী সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া এবং সেগুলো ব্যবহারবিধি জানা থাকতে হবে। ৫. ভবন তৈরি এখন বেশি মাত্রায় প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার কারণে সতর্ক থাকা ও যথাযথ পেশাজীবীদের সহায়তা নেয়া। পুরানো ঢাকার চকবাজার যেখানে আগুন লেগেছিল। আবাসিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে আইন কী আছে? বাংলাদেশের ন্যাশনাল ফায়ার কোড প্রণয়নের সাথে জড়িত ছিলেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো: মাকসুদ হেলালী। বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ২০০৬ সালেই বাংলাদেশে একটি আইন হয়েছে এবং পরে সেটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলছেন, সাধারণত আবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে দু'ধরণের বিষয় আছে : একটি হলো ছয় তলা বা তার চেয়ে কম কিংবা ছয় তলার বেশি। ছয় তলার বেশি হলে সেখানে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণের জন্য অনেক কিছু থাকতে হবে। "সাধারণভাবে কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো ভবন থেকে বেরিয়ে আসার পথ। অর্থাৎ আগুন লাগলে মানুষ যাতে বেরিয়ে আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে"। এক্ষেত্রে বেরিয়ে আসার এই পথ সিঁড়ির একটি নির্দিষ্ট সাইজ আছে। এছাড়া এক ভবন থেকে আরেক ভবনের দূরত্ব। আবার দেখতে হবে একটি ফ্লোরে আগুন লাগলে অন্য ফ্লোরগুলো থেকে যেনো সবাই সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে। "সিঁড়ি করার যেমন নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে, তেমনি লিফট থাকলে সেটার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে।" তিনি জানান, "এর বাইরে জানালার গ্লাসসহ এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্নি প্রতিরোধের বিষয়গুলো বিবেচনা নিতে হবে।" মিস্টার হেলালীর মতে, "এখানে বাড়ি নির্মাণের সময় আকর্ষণীয় করতে গিয়ে এমন অনেক কিছু সংযুক্ত করা হয় যেগুলো আগুন লাগলে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে"। তাছাড়া অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা থাকা ও প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য পানির উৎস রাখাও জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। "ধরুন আপনি বাড়িতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখলেন। সেটি যদি বাচ্চাদের নাগালে থাকে। তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য অনেক সময় এটা বাসাবাড়িতে না রাখারই পরামর্শ দেয়া হয়"। তিনি বলেন, বাড়িতে বারান্দা থাকলে দুর্ঘটনায় ক্ষতির আশঙ্কা এমনিতেই একটু কমে যায়, নকশার সময় সেসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। স্বজনদের অপেক্ষা ফায়ার সার্ভিস বিধিমালা কী বলছে? একক বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট, মেস, বোর্ডিং হাউজ, ডরমিটরি ও হোস্টেল, হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু করণীয় বলা হয়েছে বিধিমালায়। এর মধ্যে কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো: ১. ভবনের উচ্চতা ও প্রধান সড়কের প্রশ্বস্থতা এবং প্লটের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংক্রান্ত: সব প্লট ও ভবনের প্রবেশের জন্য প্রবেশ পথ থাকতে হবে এবং আবাসিক বহুতল ভবনের সামনের প্রধান সড়ক কমপক্ষে নয় মিটার প্রশস্ত হতে হবে। একই প্লটে একাধিক ভবন থাকলে দমকল বাহিনীর গাড়ি প্রবেশের সুবিধার জন্য মূল প্রবেশ পথে গেটের উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ মিটার হতে হবে। ২. ওয়েট রাইজার স্থাপন: ভবনে ওয়েট রাইজার থাকতে হবে। প্রতি তলার ছয়শো বর্গমিটার ফ্লোর এরিয়ার জন্য একটি ও অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়ার জন্য আরও একটি রাইজার পয়েন্ট থাকতে হবে। ৩. স্বয়ংক্রিয় স্প্রিংকলার স্থাপন ৪. স্থায়ী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য পানি সরবরাহ সূত্র: এজন্য ন্যূনতম ৫০ হাজার গ্যালন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার থাকতে হবে। রিজার্ভার থেকে পানি যাতে নেয়া যায় সেজন্য ড্রাইভওয়ে থাকতে হবে। ৫. ফায়ার ফাইটিং পাম্প হাউজ এবং এটি অগ্নি নিরোধক সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করতে হবে। ৬. স্মোক ও হিট ডিটেক্টশন সিস্টেম: সব স্মোক ও হিট ডিটেক্টর ও এয়ার ডাম্পার এর অবস্থান নকশায় চিহ্নিত করতে হবে। ৭. ইমারজেন্সী লাইট: জরুরি নির্গমন সিঁড়ি ও ফ্লোর প্ল্যানে এটি থাকতে হবে। এ পথ যাতে সহজে দেখা যায়। ভবনে ৫'শ জনের জন্য দুটি, এক হাজার জন পর্যন্ত তিনটি এবং এর বেশি লোক থাকলে চারটি সিঁড়ি রাখতে হবে। এটা শুধু আপৎকালীন সময়ে ব্যবহৃত হবে। ৮. বিকল্প সিঁড়ি থাকতে হবে এবং তা বেজমেন্ট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবেনা। ৯. একাধিক লিফটের একটি বা চারটির বেশি লিফটের দুটি ফায়ার লিফট হিসেবে নির্মাণ ও নকশায় থাকতে হবে। ১০. রিফিউজ এরিয়া অর্থাৎ আগুন, তাপ ও ধোঁয়ামুক্ত নিরাপদ এলাকা। এটিও নকশায় থাকতে হবে। ১১. রান্নাঘরের চুলার আগুন নির্বাপণের জন্য ওয়েট কেমিক্যাল সিস্টেম থাকতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: আগুন সম্পর্কে যা বলছে সরকার চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: হতাশা, ক্ষোভ আর যত সুপারিশ পুরনো ঢাকার অগ্নিকান্ড
বাংলাদেশের পুরনো ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আবারো আলোচনা হচ্ছে আবাসিক ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্ট স্পিকার অ্যাসিস্টের রয়েছে নারীকণ্ঠ। এই নারী সাহায্যকারীদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন তারা গ্রাহকদের নির্দেশ শুনতে বাধ্য এবং তাদের পরিতৃপ্ত করতে অধীর থাকে। এর মাধ্যমে মূলত নারীকে আজ্ঞাবহ বা অধীনস্থ ভাবার যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে সেটাকেই আরও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। একে বেশ উদ্বেগজনক হিসেবে গবেষণায় বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ এসব কণ্ঠ সহায়কদের প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন জিজ্ঞেস করছে। আরও পড়তে পারেন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে কি ধানের দাম বাড়ানো যাবে? যে পাঁচ কারণে হুয়াওয়েকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি গ্রাহকদের তাচ্ছিল্য ও অসম্মানজনক কথার প্রতিক্রিয়ায় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন নারী কণ্ঠ যেভাবে নিষ্প্রভ, কৈফিয়তমূলক, ক্ষমা প্রার্থনামূলক বা কথাটি এড়িয়ে যাওয়ার মতো করে জবাব দেয়, তাতেই এই বৈষম্য আরও স্পষ্ট হয়। এ কারণে প্রযুক্তি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের যন্ত্রের ডিফল্ট কণ্ঠ সহায়ক হিসেবে - এই নারী কণ্ঠ তৈরি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনটি। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কোর গবেষণায় শিরোনাম করা হয়েছে যে, "যদি আমি পারতাম, আমি লজ্জায় লাল হতাম।" এই লাইনটি ধার করা হয়েছে অ্যাপেলের জনপ্রিয় কণ্ঠ সহায়ক সিরির কাছ থেকে। গ্রাহকের যৌন উত্তেজক কথার প্রতিক্রিয়ায় সিরি এই জবাবটি দিয়েছিল। হেই গুগল বললেই গুগলের নারী কণ্ঠের সহায়ক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "অ্যাপল ও আমাজনের মতো কোম্পানিগুলো ব্যাপকভাবে পুরুষ প্রকৌশলী দল দ্বারা চলছে। সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীরা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এআই সিস্টেমগুলোকে এমনভাবে তৈরি করেছে, যেন তাদের নারী কণ্ঠের ডিজিটাল সহায়কগুলো মৌখিক গালিগালাজকেও স্বাগত জানায়। এসব কথার জবাবে তারা অনেক সময় প্রেমের ভান করে (ফ্লার্টেশন)। এমন যে, পারলে আমাকে ধর (ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান)। "বেশিরভাগ ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট নারী কণ্ঠের হওয়ায় এটি ইঙ্গিত করে যে , নারীরা সাহায্য করতে বাধ্য/অনুগত, একটি বোতামের স্পর্শেই বা 'হেই' বা 'ওকে' এর মতো মৌখিক আদেশেই তাদের যেকোনো সময় পাওয়া যায়। গ্রাহকের চাহিদামত আদেশ পালনের বাইরে এই নারী সহকারীর কোন ক্ষমতা নেই। এই নারীকণ্ঠ গ্রাহকের প্রতিটি নির্দেশকে সম্মান জানায় ও যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় সব ধরণের বৈরিতা উপেক্ষা করেই। - বলছে গবেষণা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের ভোটের ফল জানতে দেরী হবে কেন? সৌম্য কি বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সমস্যার সমাধান? মানুষের মৃতদেহ থেকে জৈব সার তৈরি হবে আমেরিকায় পাকিস্তানে শত শত শিশু কেন এইচআইভিতে আক্রান্ত? ০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০ কোটি স্মার্ট স্পিকার বিক্রি হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই বিষয়টি অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। কেননা এসব ভয়েজ অ্যাসিসটেন্টদের এমন ভাবা হয় যে সেই নারীরা তাদের আজ্ঞাবহ এবং যেকোনো খারাপ ব্যবহারের ব্যাপারে তারা সহনশীল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস ধারণা করছে, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০ কোটি স্মার্ট স্পিকার বিক্রি হয়েছিল - স্মার্ট স্পিকারে এমন হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় যেন গ্রাহকরা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে কথা বলতে পারেন। এবং, গবেষণা সংস্থা গার্টনারের মতে, ২০২০ সালের মধ্যে কিছু মানুষ তাদের সঙ্গীদের চাইতে ভয়েস সহায়কগুলোর সাথে বেশি কথাবার্তা বলবে। প্রতিবেদনটির মতে, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টরা এখন প্রতি মাসে আনুমানিক একশ কোটি কাজ পরিচালনা করে এবং এসব সহায়কের একটি বড় অংশই নারী কণ্ঠের। যার মধ্যে চীনের প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা ডিজাইন করা ডিভাইসও রয়েছে। অনেকে এই ভয়েজ অ্যাসিসটেন্টের মাধ্যমে তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে পারেন। মাইক্রোসফটের ভিডিও গেম হালোতে সিনথেটিক বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন নারী সহায়ক ছিল, যার নাম ছিল কোর্টানা। এই কোর্টানা নিজেকে একজন বস্ত্রহীন ও ইন্দ্রিয় উদ্দীপক নারী হিসেবে উপস্থাপন করতো। যদিও অ্যাপলের সিরি বলতে বোঝানো হয়েছে একজন "সুন্দরী নারী যিনি আপনাকে নর্সে বিজয়ের পথে নেতৃত্ব দেবেন"। এদিকে গুগল সহকারীর নাম অনেকটা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ। তবে এর ডিফল্ট ভয়েস হিসেবে নারীকণ্ঠই দেয়া রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে প্রযুক্তি ডেভেলপারদের আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে একটি নিরপেক্ষ লিঙ্গের যন্ত্র তৈরি করেন। এবং এই কণ্ঠ সহায়কগুলোকে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করেন যেন লিঙ্গভিত্তিক অপমানকে নিরুৎসাহিত করা যায়। সেইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের সাথে মিথস্ক্রিয়া শুরুর আগে এই প্রযুক্তিকে অ-মানব হিসাবে ঘোষণা করার জন্য ডেভেলপারদের আহ্বান জানানো হয়েছে। ভাষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ এবং শব্দ ডিজাইনারদের একটি দল, আসল কণ্ঠস্বর থেকে তৈরি একটি লিঙ্গহীন ডিজিটাল ভয়েজের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। যেটার নাম রাখা হয়েছে "কিউ"। বেশিরভাগ ভয়েজ অ্যাসিসট্যন্টের নারীকণ্ঠ ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল দক্ষতায় যে বিশ্বব্যাপী বড় ধরণের জেন্ডার গ্যাপ বা নারী-পুরুষ বৈষম্য রয়ে গেছে সেই বিষয়টিও গবেষণা প্রতিবেদনে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নারী ও মেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার তুলনামূলক কম দেখা যায়। এছাড়া ইউরোপের মেয়েদের আইসিটির ওপর পড়াশোনা করার হারও কমে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির গবেষণার সঙ্গে নারীদের সংশ্লিষ্টতা ছিল মাত্র ১২%।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বিভিন্ন ভয়েজ অ্যাসিসটেন্টগুলোয় নারী কণ্ঠস্বরের ব্যবহার ক্ষতিকর লিঙ্গ বৈষম্যকে স্থায়ী করে তুলছে বলে জাতিসংঘের এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
প্রচুর যোগান থাকায় বাজারে ইলিশের দাম কমে গেছে ইলিশ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার আগ মুহূর্তে এতো মাছ জালে ধরা পড়ায় খুশি জেলেরা। মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য অধিদফতর। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ,, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখেছে মৎস্য অধিদফতর। মূলত এ মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে স্রোতযুক্ত মিঠাপানিতে এসে ডিম ছাড়ে বলে জানান মৎস্য গবেষকরা। তবে মাছ বেশি ধরা পড়লেও বরফ-সংকটের কারণে তা সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। আরও পড়তে পারেন: ইলিশের 'জীবন রহস্য' কীভাবে এর উৎপাদন বাড়াবে? বাংলাদেশে বাড়ছে ইলিশ, মিয়ানমারে কেন কমছে ইলিশ কি মিঠা পানির মাছ হয়ে যাচ্ছে? লৌহজং জেলে সমিতির প্রেসিডেন্ট পরিমল মালো বিবিসিকে জানান, "শুধুমাত্র চাঁদপুর ও মাওয়াতে প্রতিদিন ৩শ মণেরও বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে বাজারে ইলিশের দাম কমে গেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ছোট আকারের ইলিশ আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায় এক কেজি ওজনের মাছ ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা দরে এবং বড় ইলিশের দাম পড়ছে মাত্র ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা। ঢাকাতেও মাছের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা দরে।" মাছের দাম বাজারে কম হলেও জালে মাছ পড়ায় জেলেরা লাভের মুখ দেখছেন বলে তিনি জানান। তবে হঠাৎ করে এতো ইলিশ জালে পড়ার কারণ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সামুদ্রিক নিম্নচাপকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন চট্টগ্রাম মেরিন সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান। তিনি বলেন, "একসময় অবাধে ইলিশ আহরণের কারণে বছরের প্রায় প্রতিটি সময় ইলিশের সংকট থাকতো। তবে সরকার মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কারেন্ট জাল জব্দ, জাটকা ধরায় কড়াকড়ির কারণে এখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।" "এছাড়া সামুদ্রিক নিম্নচাপ এবং সাইক্লোনের একটা প্রভাবও রয়েছে। কেননা ওই সময়টায় জেলেরা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারেনা। বছরে ২০ থেকে ২৫টি নিম্নচাপ হয়ে থাকে। এতে ৪০-৪৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকে যেটা মৎস্য সম্পদের জন্য এক ধরণের আশীর্বাদ বলতে পারেন।" জানান মি. খান। সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরে এল-নিনোর প্রভাবে নদীতে ইলিশ আহরণের সম্ভাবনা বেড়ে গেলেও চলতি বছরে সমুদ্রে এর কোন প্রভাব নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের নদনদী থেকে শুরু করে মোহনা ও সমুদ্রে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বিমান হামলায় খাদিজার পরিবারের বাকি সব সদস্যই নিহত হয়েছে শিশুটির পরিবারের বাকি সব সদস্য বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। আট বছরের সিরিয়া যুদ্ধের পর ইদলিব এবং হামা এলাকার কয়েকটি অঞ্চলই জিহাদি ও বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি হিসেবে রয়ে গেছে। সেসব এলাকায় সিরিয় ও রুশ সেনাবাহিনী বিমান হামলা জোরদার করেছে। ঐ এলাকার একটি গ্রামে চালানো সবশেষ বিমান হামলায় ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং আরো ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী খাদিজা-আল-হামদান। খাদিজার পরিবার তাদের গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে ঐ এলাকায় বাস করছিল। তারা একটি মুরগির খামারের দেখাশোনা করতো এবং ঐ খামারের ভেতরেই থাকতো। খাদিজার দাদা নিশ্চিত করেন যে বিমান হামলায় খাদিজা বাদে তার ছেলের পরিবারের বাকি সবাই মারা গেছে। "আমার ছেলে, তার স্ত্রী এবং আরো দুই সন্তানের সবাই মারা গেছে। তাদের দেহ আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি। খাদিজাই একমাত্র জীবিত সদস্য", বলেন খাদিজার দাদা। সিরিয়া ভিত্তিক জিহাদি গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস 'লোহা এবং আগুন'এর মাধ্যমে এই বিমান হামলার জবাব দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। সিরিয়ায় যুদ্ধ সেখানে যুদ্ধ থামছে না। এখন সিরিয়ার ইদলিবে হাসপাতাল, স্কুল লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ বেশিরভাগ সদস্য অভিযোগ করেছে। তবে রাশিয়া ও চীন তা সমর্থন করে না। এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয় সিরিয়ার দক্ষিণের শহর 'ডেরা'য়। বিক্ষোভ শুরুর অনেক আগে থেকেই কর্মসংস্থানের অভাব, দুর্নীতির মত নানা কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছিল সিরিয়ায়। এই বিক্ষোভকে 'বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ' আখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। বিক্ষোভ দমন করতে আসাদ সরকারের বাহিনী অভিযান চালায় বিক্ষোভকারীদের ওপর। এই আন্দোলন বিরোধী অভিযান ছড়িয়ে পরলে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন শুরু হয় পুরো দেশে। পুরোদেশে দ্রুত অস্থিরতা ছড়িয়ে পরে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানও জোরদার হয়। বিদ্রোহীরা শুরুতে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে অস্ত্রধারণ করে। পরে তার একত্রিত হয়ে নিজেদের এলাকার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় সিরিয়ায়।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকার একটি শহরে আসাদ সমর্থিত বাহিনীর বিমান হামলার পর একটি পরিবারের 'একমাত্র' জীবিত সদস্য ছিল দুই বছর বয়সী একটি শিশু।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
দু'হাজার সতের সালে রাঙ্গামাটির লংগদু থানায় ইসলামের নবী এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করে দেয়া এক ফেসবুক পোষ্টের জের ধরে হওয়া মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোষ্ট দেবার অভিযোগে এটি বাংলাদেশে হওয়া দ্বিতীয় রায়। গত মাসেই এ ধরণের প্রথম রায়েও এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঘটনা কী ঘটেছিল? রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ বাজারে একটি দর্জি দোকানে কাজ করতেন সুজন দে। ২০১৭ সালে ১০ই মে বিকেলে মাইনীমুখ বাজারের সেই দোকানের সামনে থেকে পুলিশ সুজন দে'কে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগের দিন ওই ব্যক্তি ফেসবুকে ইসলামের নবী এবং ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ ছিল। পরদিন বাজারের মজসিদ থেকে মুসুল্লিরা একত্রিত হয়ে ওই ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে মিছিল করে এবং স্লোগান দেয়। লংগদু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ নুর বিবিসিকে বলছিলেন, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ পেয়ে এবং স্থানীয়ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সে সময় সুজন দে'কে গ্রেপ্তার করা হয়। আরো পড়তে পারেন: ধর্ম নিয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়া এতো সহজ কেন? ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইসিটি অ্যাক্ট থেকে ভিন্ন? বিতর্কিত ‘৫৭ ধারা’ নতুন আইনে কীভাবে আসছে? তিনি বলেন, "মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আছে যে, সুজন দে তার ফেসবুকে ইসলামের নবী এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে এবং কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, তখন এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর ওইদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।" কী মামলা? সুজন দে'র বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিলুপ্ত হওয়া ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩০শে আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। আর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত ২০১৭ সালের ২৬শে অক্টোবর সুজন দের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। বৃহস্পতিবার ঐ মামলায় সুজন দে'কে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে কী বলা হয়েছে? ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম বিবিসিকে বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফেসবুকে ইসলামের অবমাননার অভিযোগ এনে বিক্ষোভের সময় ভোলায় চারজন নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, "আসামি সুজন দে 'জানা-অজানা' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোষ্ট দেয়, এবং ওই আইডি তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে খোলা হয়েছে, সেটা প্রমাণ হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন, সে কারণে আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।" মি. ইসলাম জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার পর সুজন দে'কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের কোন সদস্য আদালতে ছিলেন না। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুজন দে আপিল করবেন কি না জানা যায়নি। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের মামলায় এটি দ্বিতীয় রায়। নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর মন্দিরে হামলা হয়েছিলো এ নিয়ে পরপর দুই মাসে একই ধরণের দুইটি রায় এলো। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হলেও, ওই আইনের অধীনে হওয়া মামলাগুলো এই আইন অনুযায়ী-ই বিচার হবার বিধান রাখা আছে আইনে। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ধর্মকে অবমাননা করে দায়ের হওয়া এখনো প্রায় ২০টির মত মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগ এনে স্থানীয় পর্যায়ে বড় ধরণের সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল কক্সবাজারের রামুতে, এরপর একে একে প্রায় একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, রংপুরে এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভোলায়।
বাংলাদেশে ১৫ই অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এ ধরনের উদ্যোগের পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের সুপারিশের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তবে আওয়ামী লীগেরই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা আলোচনাও রয়েছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক দিক থেকে 'স্বস্তিকর' নয় বলে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকে মনে করেন। কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, তাদের মাঠ পর্যায়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন। আরও পড়ুন: জিয়ার 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের সুপারিশ নিয়ে কী বলছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল শেখ মুজিব হত্যার পর জেনারেল জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন মাঠপর্যায়ের নেতাদের অনেকে আবার খেতাব বাতিলের সুপারিশ নিয়ে কোন বিতর্ককে আমলে নিতে রাজি নন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি এই বিতর্ক সৃষ্টি করছে এবং তাতে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোন ক্ষতি নেই বলে তিনি মনে করেন। "তর্ক-বিতর্ক রাজনীতিতে থাকবেই। মুল বিষয়টি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করেছেন। সবার কাছে এটা দিবালোকের মতো সত্য," বলেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, "মুক্তিযুদ্ধে অবদান একটি বিষয়, আর আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রত্যক্ষভাবে মদদ দেয়া আরেকটা বিষয়। সেজন্য আমি তার খেতাব বাতিলের পক্ষে।" এদিকে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র এবং প্রভাবশালী নেতাদেরও অনেককে এই ইস্যুতে বেশ সতর্ক বলে মনে হয়েছে। তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে বা প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তারা মনে করেন, যদিও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ব্যাপারে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, কিন্তু সরকারের একটি কমিটি যখন সুপারিশ করছে, তখন তা নিয়ে আওয়ামী লীগকেই রাজনৈতিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে সরকারের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল বা জামুকার যে বৈঠকে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তাতে সভাপতিত্ব করেছেন। মি: হকসহ আরও কয়েকজন নেতা এই সুপারিশ পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, "লাভ ক্ষতি বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ কোন সত্য থেকে সরে যাবে, আওয়ামী লীগের এরকম কোন ইতিহাস নেই।" সুপারিশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, "জামুকা এই সুপারিশ করেছে। সেখানে জামুকা কোন বেআইনী কাজ করেনি। এগুলো তো একেবারে রেকর্ডেড যে, সে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসিত করেছে। এবং এখানে মিনি পাকিস্তান তৈরির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এটাতো ইতিহাস এবং তথ্যগতভাবে সত্য," তিনি বলেন। বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদানের বিষয়কে তুলে ধরে এই সুপারিশের প্রতিবাদ করছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামুকার বঠেকে সিদ্ধান্তের পর পরই প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, "বীর উত্তম খেতাব তিনি (জিয়াউর রহমান) পেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই তাকে খেতাব দিয়েছিল। এখন সরকারের সেই খেতাব বাতিলের উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো।" তবে আওয়ামী লীগ নেত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য হচ্ছে,"মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক স্বাধীনতা বিরোধীদের কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত করে-আগে সেই প্রশ্নের ফয়সালা হোক।" যদিও আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে বিতর্ককে আমলে নিতে রাজি নন, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক তাৎপর্য বিবেচনা করা না হলে, সেটা আওয়ামী লীগের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোহরাব হাসান বলেছেন, "আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে না। কেননা ৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বা অন্যান্য সেক্টর কমাণ্ডার বা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকারই তাদেরকে এই খেতাব দিয়েছে। পরবর্তীকালে কার কি রাজনৈতিক ভূমিকা-সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।" তিনি আরও বলেছেন, "কেউ যদি ফৌজদারি অপরাধ করে তার বিচারও হবে। কিন্তু দণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত কারও খেতাব বাতিল করার কোন যুক্তি নেই।" "এটি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য কোন কৌশল হলে সেটা ভাল কৌশল নয়। আর যদি সরকার এরকম সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা সরকারের জন্যই ক্ষতিকারক হবে," সোহরাব হাসান বলেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সুপারিশের পক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্ট কমিটি দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
বাংলাদেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমাণ্ডার জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের জন্য সরকারের একটি কমিটির সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
করোনাভাইরাস মহামারির পর বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাতের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশি ক্রেতারা। ক্যালি রাসেল বলছেন যুক্তরাজ্যের খুচরা পোশাক বিক্রেতারা তাদের চুক্তি বাতিল করে দেবার ফলে বাংলাদেশে পোশাক কারখানাগুলোতে বিক্রি না হওয়া পোশাকের পাহাড় জমে উঠেছে। বত্রিশ বছর বয়স্ক ব্যবসায়ী ক্যালি রাসেল এখন ঠিক করেছেন এসব পোশাক তিনি বাক্সে ভরে যুক্তরাজ্যে অর্ধেক দামে বিক্রি করবেন। বাক্সগুলো তৈরি করা হবে খদ্দেরদের পছন্দ বিবেচনায় নিয়ে। এই বিক্রির অর্থ পাঠানো হবে বাংলাদেশে যেসব পোশাক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন তাদের সাহায্য করতে। অনলাইনে পোশাক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম ম্যলজি-র প্রধান নির্বাহী মি. ক্যালি রাসেল তার এই নতুন উদ্যোগের নাম দিয়েছে 'লস্ট স্টক'। যারা পোশাক কিনতে চান তাদের একটা ফর্ম পূরণ করে জানাতে হবে তাদের সাইজ (মাপ) এবং কীধরনের পোশাক তার পছন্দ। এরপর এক বাক্স পোশাক যার আসল দাম ৭০ পাউন্ড তা তিনি কিনতে পারবেন অর্ধেক দামে অর্থাৎ ৩৫ পাউন্ডে। এরপর বাংলাদেশে এইসব পোশাক বাক্সে প্যাক করা হবে এবং পাঠানো হবে যুক্তরাজ্যে। খদ্দেররা পোশাক আলাদা আলাদা করে পছন্দ করতে পারবেন না। কিন্তু প্রত্যেক খদ্দেরের পছন্দ বিবেচনায় নিয়ে বাক্স তৈরি করা হবে। তিনি জানান: ''বিবিসির নিউজ অনলাইনে একটি খবর পড়েছিলাম, যেখানে পোশাক কারখানার একজন কর্মী বলেছিলেন, 'করোনা ভাইরাস থেকে আমার শ্রমিকরা মারা না গেলেও, না খেয়ে তারা মারা যাবে,' তখন আমার মনে হয়েছিল, আমার তো এই ব্যবসায় কিছু যোগাযোগ আছে। দেখি আমি যদি ওদের সাহায্যে কিছু করতে পারি।'' করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ক্ষতি নিয়ে পড়ুন আকবর হোসেনের রিপোর্ট। ''আমার বিভিন্ন পরিচয়ের সূত্র ধরে আমি বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর সাথে যোগাযোগ করার পর এখন দুই কোটি পাউন্ড মূল্যের পোশাক আমাদের হাতে এসেছে। এ মাসের শেষের মধ্যে আমরা পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিককে সাহায্য করতে চাই, এবং বছরের শেষ নাগাদ সেটা বাড়িয়ে এক লাখ শ্রমিককে সহায়তা করার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি," বলেন মি. রাসেল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন? ‘তিন ঘণ্টার রাস্তা আসছি দুইদিনে, খরচ হইছে ৪০০০ টাকার মত’ শুধু শ্রমিকদের বেতন দেবার জন্যই প্রণোদনা পাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত ক্যালি রাসেল (ডানে), সঙ্গে লস্ট স্টকের সহ প্রতিষ্ঠাতা ক্যালাম স্টুয়ার্ট ও জেমি সাদারল্যান্ড মি. রাসেল বলছেন এইসব অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়া পোশাক কিছু অর্থ তো আনবে। তিনি বলেন: ''এগুলো ২০২০-র বসন্তকালীন ও গ্রীষ্মকালীন অর্ডারের মাল। বিক্রেতারা জানে না কখন তাদের দোকানগুলো আবার খুলবে। তাই তারা তাদের অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে। ''এইসব বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন বাংলাদেশি পোশাক কারখানার সাথে চুক্তি করেছিল, তখন ওই চুক্তিতে একটি বিশেষ ধারা রাখা হয়েছিল, যার আওতায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চুক্তি আইনত বাতিল করার এখতিয়ার এই দোকানগুলোর ছিল। "আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুক্তিটা এমন যে খুচরা বিক্রেতারা পোশাক কারখানাগুলোকে মাল হাতে পেলে তবেই পাওনা অর্থ দেবে। কাজেই গার্মেন্টস কারখানাগুলো তাদের কাপড়, অন্যান্য সরঞ্জাম ও মজুরি বাবদ যে অর্থ ব্যয় করে তাতে উৎপাদনের খরচের সব ঝুঁকি ও দায় তাদের ওপরই বর্তায়। "আমরা এখন চাইছি এই অর্ডারের যাতে পুরোপুরি বরবাদ না হয়ে যায়। এতে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের কিছুটা সাহায্য হবে আর আমাদের খদ্দেররাও লাভবান হবে।'' বাংলাদেশে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করেন। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি পোশাক। মি. রাসেল বলেন ব্রিটেন যদি এখন লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরুও করে, তাহলেও বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাতে যেসব অর্ডার লাইনে রয়েছে সেগুলো আবার সামাল দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত এক বছর সময় লেগে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় ভিত দেশটির তৈরি পোশাক শিল্প খাত। ''এই খাতে আমাদের যে যোগাযোগ আছে এবং আমাদের যে সাধ্য আছে তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে আমরা সাহায্য করতে চাই এবং আমাদের আস্থা আছে যে আমরা কিছু একটা নিশ্চয়ই করতে পারব,'' তিনি বলেন। মি.রাসেল এবং তার দুই সহযোগী ক্যালাম স্টুয়ার্ট ও জেমি সাদারল্যান্ড বাংলাদেশে সাজিদা ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন। সাজিদা ফাউন্ডেশনের মুহিমিন চৌধুরী বলছেন: "লস্ট স্টকের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা খুশি। কারণ গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর দিক থেকে এই দুর্ভাগ্যজনক ব্যর্থতা কিছুটা হলেও লাঘব করতে লস্ট স্টকের এই উদ্যোগ সাহায্য করবে," জানান তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি?
করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের মধ্যে অর্ডার বাতিল করার কারণে বাংলাদেশে যে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক দুদর্শার মধ্যে পড়েছেন তাদের সাহায্য করছেন যুক্তরাজ্যে এডিনবারার এক ব্যবসায়ী।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম এবং প্রিন্সেস হায়া। শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী নেতাদের একজন। অন্যদিকে প্রিন্সেস হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের প্রাইভেট স্কুলে এবং ঘোড়দৌড়ে অলিম্পিকে অংশ নেয়া প্রতিযোগী। প্রিন্সেস হায়া কয়েক মাস আগে দুবাই থেকে পালিয়ে আসেন। বলা হচ্ছে, প্রাণনাশের আশংকায় তিনি এখন লন্ডনে লুকিয়ে আছেন। মূলত সন্তানরা কার কাছে থাকবে, তা নিয়েই লন্ডনের আদালতে এই দুজনের মধ্যে আইনি লড়াই হচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। তিনি হচ্ছেন শেখ মাখতুমের ছয় নম্বর স্ত্রী। শেখ মোহাম্মদের বয়স এখন ৭০। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে তার মোট ২৩ জন সন্তান। শেখ মোহাম্মদেরও ঘোড় দৌড় নিয়ে আগ্রহ আছে। তিনি ব্রিটেনের নামকরা একটি ঘোড়ার আস্তাবল গোডোলফিন হর্স রেসিং স্ট্যাবলের মালিক। প্রিন্সেস হায়া প্রথমে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে তিনি নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এমাসে জানা গেল যে তিনি এখন লন্ডনের কেনসিংটনে তার দশ কোটি ডলারের বেশি দামের এক বাড়িতে থাকছেন । লন্ডনের আদালতের বাইরে শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রিন্সেস হায়া এখন ব্রিটেনেই থাকতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দুবাইর শাসক যদি এখন তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, সেটা ব্রিটেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্রুদ্ধ হয়ে একটি কবিতা লেখেন। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে একজন নারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। এই কবিতা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। প্রিন্সেস হায়া কেন পালিয়ে গেলেন প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি সম্প্রতি শেখ মোহাম্মদের এক কন্যা শেখ লতিফাকে রহস্যজনকভাবে যেভাবে দুবাই ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারে কিছু বিচলিত হওয়ার মতো তথ্য জানতে পেরেছেন। তারপরই তিনি নিজে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বলা হচ্ছে প্রাণনাশের আশংকায় প্রিন্সেস হায়া এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শেখ লতিফা এক ফরাসী পুরুষের সাহায্য নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সমূদ্রপথে। কিন্তু ভারতের সশস্ত্র রক্ষীরা তাদের আটক করে আবার দুবাইর হাতে তুলে দেয়। আরও পড়ুন: দুবাই শাসকের স্ত্রী পালালেন কেন দুবাই রাজকুমারী লতিফাকে কি গুম করা হয়েছে? রাজকুমারী 'নিখোঁজ' না সংযুক্ত আরব আমিরাতেই আছেন? সেসময় এই ঘটনার সমালোচনা হলে প্রিন্সেস হায়া দুবাইর শাসকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, শেখ লতিফা দুবাইতেই নিরাপদ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন বলেছিল, শেখ লতিফাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এখন দাবি করছে, এঘটনার ব্যাপারে তিনি এখন নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এ কারণে তিনি তার স্বামীর পরিবারের দিকে থেকে প্রচন্ড চাপের মুখে ছিলেন।
দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম এবং তার পালিয়ে যাওয়া এক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইনের মধ্যে এক আইনি লড়াই লন্ডনের এক আদালতে শুরু হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
চীনের উহান নগরীর একটি ল্যাবরেটরি। এরকম একটি ল্যাবেরটরি থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে জল্পনা আছে। পাল্টা চীনা গণমাধ্যমে এমন কথাও বলা হচ্ছে, এমন সম্ভাবনা আছে যে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়তো উহান নগরীতে নয়। চীনের গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে মন্তব্য করেছেন, তাকে ‘ডাহা মিথ্যাচার’ বলে তীব্রভাষায় আক্রমণ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত রোববার বলেছিলেন, করোনাভাইরাস যে চীনের উহান নগরীর একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল তার বিরাট প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তবে এর পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তিনি দেননি। চীনের কট্টরপন্থী রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে যাতে তারা বলেছে মিস্টার পম্পেও আসলে ‘অধপতিত‌‌’ হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি একেবারেই জল্পনা এবং এ বিষয়ে কোনো রকমের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনও তারা দেখেনি। চীনা গণমাধ্যম কী বলছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে যে সমস্ত সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয় তা থেকে চীনা সরকারের চিন্তাভাবনার একটা আভাস পাওয়া যায়। তবে এখনো পর্যন্ত মাইক পম্পেওর মন্তব্যের ব্যাপারে চীনের কোন সরকারি জবাব পাওয়া যায়নি। মাইক পম্পেওর তীব্র সমালোচনা চলছে চীনা গণমাধ্যমে গ্লোবাল টাইমস গত সোমবার অভিযোগ করে যে মাইক পম্পেও যা বলেছেন তা ‌আজগুবি তত্ত্ব আর বিকৃত তথ্য ছাড়া আর কিছু নয়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে গ্লোবাল টাইমস পম্পেওর বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। “মাইক পম্পেও আসলে মিথ্যাচারের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছেন”, এক সম্পাদকীয়তে দাবি করেছে গ্লোবাল টাইমস। “প্রথমত, মিস্টার পম্পেও আশা করছেন এর মাধ্যমে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তারা বিজয়ী হবেন, আর দ্বিতীয়ত, মাইক পম্পেও আসলে সমাজতান্ত্রিক চীনকে ঘৃণা করেন, বিশেষ করে চীনের উত্থানকে তিনি সহ্য করতে পারছেন না।” এই সম্পাদকীয়তে অবশ্য স্বীকার করা হচ্ছে যে শুরুর দিকে চীন যেভাবে করোনাভাইরাসের মহামারির মোকাবেলা করছিল তাতে কিছু ভুল ছিল। কিন্তু এতে একই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে যে চীন সরকার যেভাবে এই মহামারি সামলেছে তা ঐ সমস্ত ক্ষুদ্র ত্রুটি কে ছাড়িয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। গ্লোবাল টাইমস এই সম্পাদকীয়তে আরো বলেছে, এটা খুবই সম্ভব যে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়তো চীনের উহান নগরী নয়, অন্য কোথাও। মিস্টার পম্পেওর মন্তব্যের বিষয়ে শুধু গ্লোবাল টাইমস নয়, অনান্য রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও চলছে একই ধরণের পাল্টা মন্তব্য এবং সমালোচনা। পিপলস ডেইলি বলছে, মাইক পম্পেও যা বলেছেন, সেটার পক্ষে তার হাতে কোন প্রমাণ নেই। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছাবে কবে? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির একটি ওয়েবসাইট অভিযোগ করেছে মার্কিন রাজনীতিকরা চীনের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মাইক পম্পেও কী বলেছিলেন গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার পম্পেও বলেছিলেন, এই ভাইরাস চীনের উহানে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকেই যে ছড়িয়েছে, এর বিরাট প্রমাণ আছে। “মনে রাখতে হবে যে সারা পৃথিবীতে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ইতিহাস চীনের আছে এবং তারা যে সমস্ত গবেষণাগার চালায় সেগুলোর মান অত্যন্ত নিম্ন"। তবে মাইক পম্পেও একথাও বলেছিলেন, ভাইরাসটি যে মানুষের তৈরি বা এতে কোন জেনেটিক পরিবর্তন করা হয়েছে, এমনটি তিনি মনে করেন না। চীনের উহানে অবস্থিত গবেষণাগারটিতে বাদুড় থেকে পাওয়া করোনাভাইরাসে গবেষণা করা হয়। এই ভাইরাসটি উহানের গবেষণাগারে কর্মরত এক শিক্ষানবিশ এবং তার বয়ফ্রেন্ডের মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে যে কথা প্রচার করা হয়, সে বিষয়ে গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তখন মিস্টার ট্রাম্প এই তত্ত্ব সমর্থন করেননি। তবে তিনি বলেছিলেন “আমরা এই বিষয়ে আরও বেশি করে জানছি।” গত সপ্তাহে তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি এমন কোন প্রমান দেখেছেন কিনা যার কারণে তার এমন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে এই ভাইরাসটি আসলে উহানের ল্যাবরেটরী থেকেই ছড়িয়েছে। জবাবে মিস্টার ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ আমি দেখেছি‍।” তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য তিনি দেননি। গত মাসে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা খবর দেয় যে মার্কিন কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই গবেষণাগারটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরে এসে গবেষণাগারটির নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। চীনের পত্রপত্রিকায় ভাইরাসের উৎস নিয়ে পাল্টা দাবি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন গত সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন পরিচালক ডঃ মাইকেল রায়ান বলেন এই ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এখনো পর্যন্ত পাননি। তিনি আরো বলেছিলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে যা চলছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে তা একেবারেই একটি জল্পনা। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছিল, এই ভাইরাসটি যে মানুষের তৈরী নয় বা এটিতে যে জেনেটিক পরিবর্তন ঘটানো হয়নি, সেই বিষয়ে তারা একমত। তবে একই সঙ্গে তারা বলেছিল, ভাইরাসটি কোন সংক্রমিত পশু থেকে বা দুর্ঘটনাবশত উহানের ল্যাবরেটরী থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। কীভাবে চীন থেকে করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লো, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে খুব সোচ্চার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, এরকম সম্ভাবনা আসলে সবচেয়ে বেশি যে এই ভাইরাসের উৎস হয়তো ছিল উহানের বন্যপ্রাণীর বাজার। তবে স্কট মরিসন একথাও বলেছেন, ভাইরাসটি যে ল্যাবরেটরি থেকেও ছড়াতে পারে সেই ধারণা তিনি নাকচ করে দিচ্ছেন না। মিস্টার মরিসন বলেন, “যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো যেন পুরো বিষয়টির একটি সঠিক পর্যালোচনা এবং স্বাধীন তদন্ত হয়। যেন কিভাবে এই ভাইরাস কোত্থেকে ছড়িয়েছে সেটা দেখা যায়। এটা বেশ স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে যাতে এথেকে ভবিষ্যতের একটা শিক্ষা নেয়া যায়। এদিকে বেশ কিছু পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তার কোন প্রমাণ নেই।
উহানের ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তার জন্য এখন চীনা গণমাধ্যমে তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার জন্য এটি এখন বাঁচা মরার লড়াই উভয় দলের জন্য। তাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি ২০১৮ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই ম্যাচ নিয়ে বিবিসি বাংলা কথা বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক একজন ক্রিকেটার হান্নান সরকারের সাথে। বাংলাদেশের ব্যাটিং এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ সাকিব আল হাসান হান্নান সরকারের মতে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষার জায়গা নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের। আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচটিতে ইমরুল কায়েস মাঝে নামার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "টিম ম্যানেজমেন্ট খুব বিচক্ষণ ছিল। রশিদ খান ও ইমরুল কায়েস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন একসাথে। রশিদের বল ইমরুল খেলবেন এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে ইমরুলকে নিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" সৌম্য সরকার কী ধরণের ফর্মে আছেন সেটা একটা বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে মনে করেন হান্নান সরকার। সেক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্ত'র পরিবর্তে তাকে নামানো যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমেদ ১৪৪, আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৪ ও ইমরুল কায়েস ৭২ রান তোলেন। হান্নান সরকার বলেন, "মূলত অভিজ্ঞরাই পারফর্ম করছেন। যারা একটু সিনিয়র তারাই খুব ভালো খেলছে। যেমন লিটন দাস আফগানিস্তানের সাথে কিছু রান করেছেন এবং শান্ত তেমন খেলতে পারছেন না। এসব বিবেচনা করেই একাদশ করা হবে।" পাকিস্তানের শক্তির জায়গা ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে মাত্র তিনটি উইকেট নিতে পেরেছে পাকিস্তানের বোলাররা পাকিস্তানের স্বভাবজাত শক্তির জায়গা বোলিং। যদিও হংকংয়ের সাথে একটি ম্যাচ ছাড়া পাকিস্তান তেমন ভালো বোলিং করতে পারেনি এই টুর্নামেন্টে। মূলত মোহাম্মদ আমিরের ফর্ম না থাকা ভোগাচ্ছে এই দলটিকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মোহাম্মদ আমির। হান্নান সরকারের মতে, "বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের বোলিং বেশ শক্তিশালী। তাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে।" আরো পড়ুন: এশিয়া কাপ: বাংলাদেশ যে পাঁচ জায়গায় পিছিয়ে পড়ছে রশিদ খান ও আফগানিস্তানের সাফল্যের চার কারণ এশিয়া কাপে দারুণ ফর্মে আছেন ৩৬ বছর বয়সী শোয়েব মালিক সাম্প্রতিক সাফল্য নেই পাকিস্তানের হান্নান সরকার মনে করছেন পাকিস্তানের এশিয়া কাপ তেমন ভালো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, "হংকংয়ের সাথে জয় ছাড়া পাকিস্তান এই এশিয়া কাপে খানিকটা নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সাথে দুটো ম্যাচেই একদম বড় ব্যবধানে হেরেছে।" ভারতের কাছে পাকিস্তান একটি ম্যাচে আট উইকেটে ও একটি ম্যাচে নয় উইকেটে হেরেছে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র তিন উইকেট নিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। হান্নান সরকারের মতে এমন ব্যবধানে হার যেকোনো দলের মানসিক শক্তিতে আঘাত হানে। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলাদেশ চলতি এশিয়া কাপে ফর্মে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান পাকিস্তানের সাথে শেষ তিন বছরে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। শেষবার ২০১৫ সালে দুই দল একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজে দুটি শতক হাঁকান তামিম ইকবাল, যিনি ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে আছেন। এর আগে ২০১৪ এশিয়া কাপ ও ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়, যেই দুটি ম্যাচ খুব সামান্য ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। আরব আমিরাত কী পাকিস্তান হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে? হান্নান সরকার মনে করছেন, "এখানে ঘরের মাঠের সুবিধা তেমন নিতে পারবে না। বাংলাদেশও চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখানে পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা চলে এসেছে।" তবে গরমের বিষয়টা দুই দলের জন্যই কঠিন হবে। হোম গ্রাউন্ডের ব্যাপারটায় খুব বেশি সুবিধা পাকিস্তান নিতে পারবে বলে মনে করছেন না মি. সরকার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আইটি পড়া যুবক যেভাবে হলো পুরুষ-বেশ্যা বা 'জিগোলো' হঠাৎ কেন বেড়ে গেছে ইলিশ আহরণ? সানি লিওনের পিছু ছাড়ছে না পর্ন-তারকার অতীত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দলই আফগানিস্তানের সাথে সুপার ফোর পর্বে জয় পেয়েছে এবং ভারতের কাছে হেরেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিবার্চকরা বলেছেন, অধিনায়ক, ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক সবার সমন্বিত সিদ্ধান্ত এটা। তাদের বক্তব্য ২০২৩ সালের "বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই এই স্কোয়াড ভাবা হয়েছে"। যার অর্থ করা যেতে পারে, আগামী বিশ্বকাপেতো মাশরাফীর কোন সুযোগই নেই, এমনকি এর আগে যে আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো খেলবে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে যেগুলোর স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে 'বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে', তার কোনটাটেই ঠাঁই পাবেন না এখন ৩৭ বছর বয়সী সংসদ সদস্য মি. মোর্ত্তজা। ওয়ানডের প্রাথমিক দলে আছেন, তামিম, সাকিব, শান্ত, মুশফিক, মিথুন, লিটন, রিয়াদ, আফিফ, সৈকত, সৌম্য, ইয়াসির, নাইম শেখ, তাসকিন, আল আমিন, শরিফুল ইসলাম, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, মিরাজ, তাইজুল, নাসুম, পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান ও রুবেল হোসেন। টেস্টের প্রাথমিক দলে আছেন, মুমিনুল, তামিম, সাকিব, শান্ত, মুশফিক, মিথুন, লিটন, ইয়াসির, সাইফ হাসান, আবু জায়েদ, তাসকিন, খালেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মিরাজ, তাইজুল, নুরুল হাসান, শাদমান ইসলাম, নাইম হাসান, এবাদত হোসেন। টেস্ট দলে নেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রাথমিক এই স্কোয়াডটি মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে মূল দল ঘোষণার আগে অনুশীলন করবে একসাথে। মাশরাফী ওডিআই খেলার ব্যাপারে সবসময়েই বলে এসেছেন যতদিন তিনি দলে সুযোগ পাবেন ততদিন খেলবেন। এমনকি গত বছরের মার্চে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার পরও অনেকেই ভেবেছিলেন মাশরাফী অবসরে যাবেন। ভাবা হয়েছিল গত বছর জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের একটি হোম সিরিজই হতে যাচ্ছে তার শেষ ম্যাচ। এমনকী সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠের মধ্যে তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে বেশ ঘটা করে সম্মাননাও জানায় তাঁর সতীর্থরা। কিন্তু মাশরাফী অবসরের ব্যাপারে কিছুতো বলেনইনি, বরং গত নভেম্বরে শুরু হওয়া ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও খেলেছেন তিনি। মাশরাফী নিয়মিত হবার পর ফিট থাকা অবস্থায় বাদ পড়ার নজির নেই বললেই চলে। ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি দলে যে তিনি সুযোগ পাননি, সেবারও তার ফিটনেসের কথাই বলা হয়েছিল। কিন্তু গত নভেম্বরে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাশরাফির পারফরম্যান্স তাঁর ফিট থাকারই ইঙ্গিত দেয়। এই সময়ে চলা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তিনি চার ম্যাচ খেলে সাতটি উইকেট নেন। এর মধ্যে এক ইনিংসেই ছিল ৫ উইকেট। এবারের জাতীয় দল নির্বাচনের আগে মাশরাফী জাতীয় দলে থাকছেন কি থাকছেন না এটা নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। তর্ক বিতর্ক চলার এক পর্যায়ে স্কোয়াড ঘোষণার একদিন আগেই বিবিসি বাংলার সাথে আলাপকালে মাশরাফী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলে থাকা বা না থাকা নিয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না। সোমবার যেদিন মাশরাফী স্কোয়াডে নেই বলে খবর এলো, সেদিন তার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অধিনায়ক মাশরাফী ছিলেন প্রশংসিত। মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের সাথে সম্পর্ক এবং অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফী। গত দুই বছর রাজনীতি এবং খেলা একযোগে চালিয়েছেন তিনি। দুটো সামলানো কতটা কঠিন? কতটা ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হয়? মাশরাফীর ভাষায়, 'ব্যস্ততা আছে, থাকবে, এর মধ্যে করোনাভাইরাসের এক বছর গেলো, সবাই প্যানডেমিকের সময় ঘরের ভেতর ছিল, কাজ যখন যেটা ছিল তখন সেটা করেছি, এভাবেই'। নির্বাচকেরা যা বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার তুলনামূলক দুর্বল একটি স্কোয়াড করেছে। সেই দলের বিপক্ষে মাশরাফীকে না রাখাটা একটা বার্তা কি না সেটা নিয়ে খোলাসা করেননি নির্বাচকেরা। কিন্তু তারা এটা বলেছেন, যে বিশ্বকাপ এবং ভবিষ্যৎ ভেবেই মাশরাফীকে রাখা হয়নি। এটা একরকম বলে দেয়া যে মাশরাফীর জন্য জাতীয় দলের রাস্তা আপাতত বন্ধ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সরাসরি না বললেও এমনই ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত। ওদিকে বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস বলেন, নির্বাচকরা আসলে চাইছেন মাশরাফীর জায়গা পূরণ করে নিতে। মাশরাফীর বাদ পড়া বিষয়ে শাহরিয়ার নাফিস যা বলেন তার মোদ্দা কথা হলো, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এখন যদি ফিট থাকেন বা সামনে ফিট হন এমন হতে পারে যে দুই বা এক সিরিজের জন্য ডাক পেলেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি যে চিন্তা করছেন নির্বাচকরা তাতে করে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দলে ঢোকা কঠিন হয়ে যাবে। "এখন যে বয়স তাতে করে চার বা পাঁচ বছর খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।" তবে মি. নাফিস বলেছেন যে, মাশরাফীর যে ফাঁকা জায়গা রেখে যাবেন সেটা পূরণ করা কঠিন হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয় যখন সে অবসর নেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা স্পষ্টতই জানিয়েছেন ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য ওয়ানডে ও টেস্টের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিবার্চকরা। যেখানে ওয়ানডে ক্রিকেটারদের তালিকায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নাম নেই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান তাদের অভিযোগ, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসাবে একজন ব্যক্তির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া বেআইনি। আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগও জানিয়ে এসেছে। তবে বিএনপি বলছে, তাদের মনোনয়ন বোর্ডে কে থাকবেন, সেটা একান্তই তাদের বিষয় - এ নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচন: কী করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়? সংসদ নির্বাচন: ইভিএম ব্যবহারের ঝুঁকি কোথায়? তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরানোর আইনী উপায় কি? সোমবারও সাক্ষাৎকার নেয়ার প্রক্রিয়ায় লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে তারেক রহমান যোগ দেন বলে জানা গেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অথবা বাংলাদেশের আইন এ বিষয়ে কি বলছে? নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলছেন, ''আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। দুই-একদিনের মধ্যে কমিশনের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা বসার পর আইনে কি আছে, বা আমাদের করণীয় কি আছে, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখবো।'' এটাকে একটি নতুন বিষয় বলেও তিনি মনে করছেন। নির্বাচন কমিশন বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবেন এটা কি বিচারিক বিষয়, না-কি নির্বাচন কমিশন এটি দেখবে, তাও কমিশনকে খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানান রফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবারই প্রথম। এই বোর্ডে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরও কয়েকজন সদস্য। রবিবার থেকে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার ছেলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু দুর্নীতির দুই মামলায় এবং ২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তিনি পলাতক - ফলে পলাতক একজন ব্যক্তি প্রার্থী বাছাইয়ে অংশ নিচ্ছেন, এখানেই তাদের আপত্তি। বিএনপির সাক্ষাৎকার বোর্ডে স্কাইপের মাধ্যমে অংশ নিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তবে সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ বিবিসি বাংলার কাছে মন্তব্য করেছেন যে এখানে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। তিনি বলেন, সংবিধানে আছে নৈতিক স্খলনের কারণে কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তাহলে সাজা শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত বা পলাতক ব্যক্তি স্কাইপ ব্যবহার বা অন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি যোগাযোগ করে, সেক্ষেত্রে ওই বিষয়ক কোন আইন নির্বাচন কমিশনে নেই, দেশেও কোন আইন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয়নি। ''কাজেই ইচ্ছা করলেও নির্বাচন কমিশন কিছু একটা করতে পারবে না। কারণ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঠিক করা যাবে না, এমন কোন আইন এখানে নেই।'' মি. শাহনেওয়াজ আরও বলেন, আসলে এভাবে এর আগে কেউ চিন্তা করেনি। এই প্রযুক্তিগুলো নতুন এসেছে। সুতরাং এখন হয়তো এগুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে।'' আচরণবিধির ভঙ্গের মধ্যে কি এটা পড়ে? বাংলাদেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে ৯১ই ধারায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশে কিছু বলা না হলেও, যদি কমিশন এমন কোন তথ্য পায় বা লিখিত অভিযোগ পায় যেখানে কোন প্রার্থী বা এজেন্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বেআইনি কর্মকাণ্ড বা আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছে, তাহলে কমিশন সেটি তদন্ত করার আদেশ দিতে পারবে। সেখানে অভিযুক্তের বক্তব্য শুনতে হবে এবং অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে। কিন্তু তারেক রহমান এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। সুতরাং তার প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ নেই - বলছেন মোঃ শাহনেওয়াজ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: তাজমহলে পুজা এবং নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর আসন বণ্টন নিয়ে কতটা জটিলতায় দুই জোট? 'রাস্তায় বের হবার আগে থেকেই পানি খাই না' সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ''দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও কিন্তু ভোটার হয়। সুতরাং দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে কিছু করা যাবে না, নির্বাচনী কোন আইনে এরকম বিষয় নেই।" "নির্বাচন কমিশন বিষয়টা দেখতে পারে, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া খুব কঠিন হবে।'' অন্য আইন কী বলছে? বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১০৭ থেকে ১২০ ধারায় অপরাধে সহযোগিতা করার অভিযোগে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু স্কাইপ বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাক্ষাৎকার গ্রহণে সহযোগিতা বা অংশ নেয়া কি অপরাধে সহযোগিতার মধ্যে পড়বে? বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের হাইকোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, ''সেজন্য আগে দেখতে হবে সেখানে কোন অপরাধ হচ্ছে কি-না, সেই অপরাধে সহযোগিতা করা হচ্ছে কি-না। স্কাইপ ব্যবহার করে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ বর্ণনা করে, আমার জানা মতে, বাংলাদেশে এমন কোন আইন নেই।'' এটা বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় বলেই তিনি মনে করেন। ২০১৪ সালে একটি রিট আবেদনের জবাবে বাংলাদেশের হাইকোর্ট আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোন বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের আরেকজন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলছেন, কারো সাথে কথোপকথন বেআইনি বা নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশে কোন আইন নেই। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন যে বাক স্বাধীনতার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার কারণে বিএনপি এবং দলটির নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের অনেকেই অভিযোগ করছেন যে করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে রোগীকে জরুরি সেবা না দিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে কিছু হাসপাতালের মধ্যে। ঢাকার দুটি পরিবার জানিয়েছে, তাদের রোগীকে নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও জরুরি চিকিৎসা পাননি তারা। শেষ পর্যন্ত দুজনই মারা গেছেন। মৃত্যুর পর জানা গেল তার কোভিড ছিল না: কাশি ও বুকে ব্যথার কারণে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সাবেক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারিককে তার পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি ঢাকার শ্যামলীর কাছে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। মি. বারিকের ছেলে মিথুন জামান বিবিসিকে বলেন, সেখানে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম দেখে কোভিড-১৯ রোগী ধারণা করে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে পরামর্শ দেয়া হয়, তাকে কুর্মিটোলা বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে। "এরপর আমরা কুর্মিটোলা নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানকার একজন কর্মকর্তা সিট খালি নেই জানিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন"। কিন্তু মি. জামান তার বাবাকে নিয়ে যান বেসরকারি আনোয়ার খান হাসপাতালে। "সেখানে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হলে তার অবস্থার উন্নতি হয়। তাকে সিটি স্ক্যানও করানো হয়। কিন্তু পাঠানো হয় কোভিড ইউনিটে। কিন্তু সেখানে কোভিড ইউনিটে সিট না থাকায় আমরা পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু কোভিড ধারণা করে তারা জানান তাদেরও কোভিড ইউনিটে সিট খালি নেই"। কুর্মিটোলা হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন ৪ঠা ডিসেম্বর তাদের শয্যার অতিরিক্ত রোগী ছিলো। স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতেও দেখা যায় যে ওই হাসপাতালে সেদিন কোন শয্যা খালি ছিলোনা। দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ মোকাবেলায় রোডম্যাপ করুন - পরামর্শক কমিটি করোনার সেকেন্ড ওয়েভ কী এবং সেরকম কিছু কি আসতে যাচ্ছে? করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে শনাক্তের প্রায় ৮০ ভাগই সুস্থ হয়েছেন শীতকালের সঙ্গে করোনাভাইরাসের কী সম্পর্ক? হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা পরে গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে নিলে তারা আইসিইউতে ভর্তি করান কিন্তু শুক্রবারেই তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাত সোয়া আটটায় মারা যান মি. বারিক। মিথুন জামান বলেন, "মৃত্যুর পর হাসপাতালে জানালো বাবা ছিলেন কোভিড নেগেটিভ। অথচ সকাল ছয়টা থেকে বারটা পর্যন্ত হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছি কিন্তু কেউ ধরতেই চায়নি। সবাই কোভিড সাসপেক্ট করে ভর্তি করেনি। আর মৃত্যুর পরদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসএমএস পেলাম যে বাবা কোভিড নেগেটিভ"। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ৪ঠা ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে ১৯টি হাসপাতালে শূন্য শয্যা ছিলো ১২৭৩টি আর আইসিইউ বেড খালি ছিলো ১০১টি। শ্বাসকষ্ট শুনেই জানিয়ে দিলেন যে সিট খালি নেই একাধিক হাসপাতালে ঘোরার প্রায় একই ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্টার একেএম এমদাদুল হকের পরিবারের সদস্যদের। মি. হকের কন্যা আফরোজা হোসেন বিবিসিকে বলছেন, কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও তার বাবা কার্যত কোনো চিকিৎসা না পেয়েই মারা গেছেন। "গত ২৭শে সেপ্টেম্বর রাতে বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। বাসায় ইনহেলার দিয়ে চেষ্টা করলাম। কিন্তু অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া ওই রাতেই শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেই কিন্তু তারা রাখলো না"। "এরপর সেখানেই আরেকটা সুপরিচিত হাসপাতালে নেই। তারা শ্বাসকষ্ট শুনেই জানিয়ে দিলেন যে সিট খালি নেই"। "এরপর মগবাজার আরেকটি হাসপাতালে নিলাম। তারা করোনা রিপোর্ট চাইলেন কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ দেখেও রাখলেন না"। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে নিতে রাত আড়াইটা বেজে গেলো এবং কিন্তু ঔষধ দিতে দিতে সকাল সাতটা বেজে গেলো। "এরপর ডাক্তার এলো। আমরা কেবিনে ওঠালাম। ইসিজি করা হলো এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার বাবা মারা গেলেন"। "অক্সিজেন দেয়া ছাড়া কার্যত কোনো চিকিৎসাই পেলেননা বাবা," বলছিলেন আফরোজা হোসেন। কর্তৃপক্ষ বলছে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই অথচ গত জুলাই মাসের কোভিড -১৯ বিষয়ক জাতীয় কমিটি রোগীদের যাতে বিনা চিকিৎসায় ফিরতে না হয়, সেজন্য হাসপাতালে বেড ব্যবস্থাপনায় আন্তঃহাসপাতাল নেটওয়ার্কিংয়ের সুপারিশ করেছিলো। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোন হাসপাতালে কত বেড খালি সে সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে থাকলেও করোনা সংক্রমণ কমে আসার প্রেক্ষাপটে তা আর আলোচনায় আসেনি। এমনকি রোগী সংখ্যা কমে আসায় সেপ্টেম্বরে কোভিডের জন্য ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছিলো এমন কয়েকটি হাসপাতালকে নন-কোভিড ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু সম্প্রতি সংক্রমণ আবার বাড়ায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া কিংবা ভর্তি হতে একাধিক হাসপাতালে দৌড়ানোর ঘটনাও বাড়ছে। রোগীকে চিকিৎসা না দেয়ার সুযোগ নেই অধিদপ্তরের মুখপাত্র হাবিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বেড খালি রেখে রোগী ভর্তি না নেয়ার সুযোগ নেই। "এমন হতে পারে রোগী যখন গেছে ঠিক সে মূহুর্তে খালি ছিলো না। কিন্তু কোভিড বা নন-কোভিড যাই হোক রোগীকে চিকিৎসা না দেয়ার সুযোগ নেই। এমন কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরাও সেটি দেখবো"। অন্যদিকে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডাঃ মুশতাক হোসেন বলছেন এখন আর রোগী নিয়ে এমন পরিস্থিতি হওয়ার কথা না। "সব হাসপাতালেই নির্দিষ্ট রুম আছে। রোগীকে সেখানে রেখে দরকার হলে কোভিড টেস্ট করে দেখবে। সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেবে। কোনো হাসপাতাল রোগীকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া ফিরিয়ে দিচ্ছে কি-না তেমন অভিযোগ আসলে অবশ্যই সেটা দেখতে হবে," বলছিলেন মিস্টার হোসেন। আরো খবর: 'বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক চলবে না' - দেশজুড়ে আমলাদের সমাবেশ পরীক্ষার সময়সূচীর ব্যাপারে সুর নরম করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'জয় বাংলা' শ্লোগান আর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে যেভাবে বিভক্তি ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ আর গ্রুপ যে সুবিধা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের মরক্কো-ইসরায়েল চুক্তি: উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত-দলাদলির রেসিপি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনের ফল বদলানোর মামলা খারিজ
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভে সংক্রমণ ফের বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা নিয়ে নতুন করে সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
প্রতীকী ছবি শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩শে মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মাগুরার শ্রীপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা নাসরীন। এর আগে মাগুরার শ্রীপুরে দুটি গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি দেয়ার পর সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। প্রশাসন জানাচ্ছে, তারা ওই ঘটনাটির পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এ ঘটনায় চার জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হলেও তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন কবীর জানান, উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের চৌগাছি, গোয়ালদাহ এবং মালাইনগর গ্রাম এলাকায় সম্প্রতি ৫০ জন হিন্দু ব্যক্তিকে এসব চিঠি বিতরণ করা হয়। চিঠি পেয়েছেন এমন একজন বিবিসিকে জানান, তিনি এবং তার প্রতিবেশীরা চিঠি পেয়েছেন শুক্রবার রাতে। এসব চিঠি বিতরণের পর এক ধরণের উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকার হিন্দু জনগোষ্ঠির মধ্যে। ইউএনও মি. কবীর বলছেন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে সম্প্রতি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। এই উৎকণ্ঠা নিরসনের জন্য শনিবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরাও। এলাকার বাসিন্দাদেরও কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের সবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, চিঠি বিতরণ যারা করেছে, তাদের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। "একে হালকাভাবে দেখছি না আমরা। এর পেছনে আসলেই কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা দেখা হচ্ছে," বলেন মি. মাসুদ। আরো পড়ুন: প্রথমে মনে কষ্ট পাই, তারপরে ভয় পাই: চিঠি যারা পেয়েছেন তাদের একজন শ্রীপুর উপজেলার চরগোয়ালদাহ গ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষক নির্মল কুমার সরকার। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, চিঠি পাওয়ার পর "প্রথমে মনে কষ্ট পেয়েছি, তারপর ভয় পেয়েছি, তারপর উৎকণ্ঠিত হয়েছি"। তিনি বলছিলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাছে কেউ একজন চিঠিটি দিয়ে যান। প্রথমে ব্যাপারটা চেপে গিয়েছিলেন তিনি। অন্য কেউও বিষয়টি সামনে আনেননি। "আমরা হিন্দু সম্প্রদায় তো, এমনিতেই মানসিক উৎকণ্ঠায় থাকি", বলছিলেন মি. সরকার। পরে অবশ্য তিনিই স্থানীয় মন্দিরে একটি সভা ডেকে ব্যাপারটি উত্থাপন করেন। তারপর একে একে বাকিরাও চিঠি পাওয়ার কথা জানান। পরে এই খবরটি স্থানীয় প্রশাসনের কানে গেলে তারা হস্তক্ষেপ করেন। কী ঘটেছিল? শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মি. কবীর জানান, যারা চিঠি বিতরণ করেছে তারা ইয়াকুব নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি ছোট মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, তারা তাদের ভাষায় 'ঈমানী দায়িত্ব' পালনের অংশ হিসেবে ১০০ জন অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর জন্য তারা তিন জন করে ২১ জনের মোট ৭টি দল গঠন করেন, যারা চিঠি বিতরণের কাজ করবে। মোট দুই পাতার এই চিঠিতে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত হাতে লিখে কপি করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। "সেই সাথে চিঠিতে তাদের নিজেদের কিছু কথা আছে এবং তারা একটি উপসংহার টেনেছেন যে, আপনারা এসব বিধর্মী পথ ছেড়ে শান্তির পথে আসুন।" চিঠিটি বেনামী এবং কারা পাঠিয়েছেন তাদের কোন নাম উল্লেখ করা নেই। তবে চিঠির শুরুতে লেখা রয়েছে, "মুসলিম জামাতের পক্ষ থেকে"। এটির পর বিভিন্ন প্রাপকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানান তিনি। মি. কবীর বলেন, চিঠিটি তারা পড়েছেন এবং এতে কোন ভীতিকর কোন বিষয় তারা দেখেননি। কাউকে কোন ধরণের হুমকিও দেয়া হয়নি। "চিঠিটি যাদের দেয়া হয়েছে, দেয়ার সময় তাদের কাউকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়নি," বলেন মি. কবীর। 'গ্রহণযোগ্য নয়' হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী বলেন, মাগুরায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। মি. চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জ এবং মাগুরায় যে ঘটনা ঘটেছে তার দায় প্রশাসন এবং সরকারকে নিতে হবে। এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এর আগে যে ঘটনাই ঘটুক না কেন বলা হতো যে, বিএনপি-জামাত ঘটিয়েছে বা মৌলবাদী গোষ্ঠী করছে। কিন্তু এখন যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি ঘটনাতেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য জানা যাচ্ছে। "সরকারের নাকের ডগা দিয়ে এসব ঘটনা ঘটছে," তিনি বলেন।
শুক্রবার মাগুরার দুটি গ্রামে নজিরবিহীনভাবে জনা পঞ্চাশেক হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়ে বেনামি চিঠি পাঠানোর পর সে ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
এই নারীরা এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে, কিন্তু আইএসে তারা যোগ দিয়েছিলেন একই লক্ষ্য নিয়ে। বিবিসির শাইমা খালিলের কাছে তাঁরা বলেছেন কেন আইএসে তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন আইএসের ভেতরের পরিস্থিতির কথা। এই নারীরা এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে, কিন্তু আইএসে তারা যোগ দিয়েছিলেন একই লক্ষ্য নিয়ে। তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল আইএস-এর কথিত 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠা করা। আইএসের কথিত খেলাফতের রাজধানী ইরাকের রাকা এবং এটি তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবেও পরিচিত। যদিও আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স রাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা এই অভিযানে সাফল্যও পাচ্ছে। দুপক্ষের লড়াইয়ের ফলে রাকা থেকে হাজারো মানুষ পালাচ্ছে। শহর ছেড়ে পালানো মানুষের ভিড়ে আইএস জঙ্গিদের স্ত্রী-সন্তানেরাও আছে। আরো পড়তে পারেন: মোদী, গরু নিয়ে ভিডিও, ভারতে গ্রেপ্তার মুসলিম যুবক 'পানির নীচে রাস্তা ভালো', ট্রাফিকের সাইনবোর্ড ‘নেহরু ছাড়া ভারতে অন্য কোনো চিন্তাবিদ নেই না কি?’ তাদেরই কয়েকজন এখন কুর্দি বাহিনীর জিম্মায় রয়েছে। এদেরই একজন ইমান ওথমানি ও তার স্বামী তিউনিসিয়া ছেড়েছিলেন রাকায় আইএস-এর ঘাঁটিতে যোগ দেবার জন্য? কী আকর্ষণে আইএসে যোগ দিয়েছিলেন তারা? বিবিসিকে ইমান বলেন, "সিরিয়ায় সক্রিয় আইএসের ভিডিও দেখতাম আমরা। ওই সব ভিডিওতে ইসলামি গান থাকত। আইএসকে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক কাজ করতে দেখতাম। এসব দেখে ভালো লেগে যায়। রাকায় গিয়ে বসবাস করতে মন চায়"। এমান আরও জানান যে আইএসের যেসব ভিডিও দেখে তাঁরা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তাতে মানুষ হত্যার দৃশ্য খুব কমই ছিল। বিবিসির সাংবাদিককে তিনি বাস্তব পরিস্থিতি যে ভিন্ন ছিল তা তারা রাকায় গিয়ে দেখতে পান। তখনই আইএসের নৃশংসতা তারা দেখেন। "সেখানে ভয়ংকর ঘটনা দেখি আমরা। আমার স্বামী ও সন্তানদের জন্য চিন্তা ও ভয় নিয়ে আমি ঘুমাতে যেতাম। মনে হতো তারা হয়তো কোনো রাতে এসে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যেয়ে হত্যা করে ফেলবে" -বলেন ইমান। ইমানের স্বামী এখন রাকার বাইরে একটি এলাকায় কুর্দিশ নিয়ন্ত্রিত একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ইমান বলেন তিনি ভুল করেছেন রাকা থেকে যারা পালিয়েছেন তারা সবাই ঘটনার শিকার কি না সে বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া কঠিন। এক হিসেবে এরা সবাই আসলে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর অংশ। ইমানের ছেলে রাকাতেই জন্ম নিয়েছে। তিনি এখন আশা করেন ইসলামিক স্টেটের প্রভাব থেকে দূরে গিয়েই নিজের ছেলেকে সুন্দরভাবে মানুষ করতে পারবেন তিনি। "আমি মানুষ। আমি ভুল করেছি। যারা আইএসে যোগ দেয়ার চিন্তা করছে তাদের প্রতি আমার উপদেশ ভুলেও এমনটা ভাববেন না, নিজেকে বাঁচান। আইএসে যোগ দিয়ে মৃত্যু হলে আপনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন না। আপনার জন্য শুধুই জাহান্নাম অপেক্ষা করছে" -বলেন ইমান। এদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে অংশ নিতেন। আইএসের নারী যোদ্ধাদের একটা পৃথক ব্রিগেড আছে বলে জানান তাঁরা। আরেক আইএস যোদ্ধার স্ত্রী খাদিজা আল ওমারি জানান সেখানকার অন্দরমহলের কথা। তিনি বলেন, সেখানে একজন নেতা ধরনের নারী থাকতেন যিনি ছিলেন মরক্কোর নারী। তিনি অন্য সব নারীকে নির্যাতন করতেন। কেউ যদি আইএসকে নিয়ে বাজে কথা বলতো তাহলে ওই নারী নেত্রী তাকে ধরে নিয়ে কারাগারে ঢোকাতেন। আইএসকে নিয়ে কথা বলা নারীকে 'চর' হিসেবে চিহ্নিত করা হতো"। রাকা থেকে পালিয়ে আসা এসব নারীদের সঙ্গে যেসব শিশু রয়েছে তারা জানেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর আবর্তে তাদের জীবন কেটেছে। এখন এসব শিশুদের মায়ের আইএস এর কথিত 'খেলাফত' জীবন আর নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার ঘটনার মধ্য দিয়ে জীবন পার করছে। অনেক নারী এখন আইএস এর নৃশংসতা ভুলে, নিজ ভুল স্বীকার করে পুরনো জীবনে ফিরে যেতে চান। বিবিসি বাংলার আরো খবর: জলাবদ্ধতা নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে হতাশা স্বামীগৃহ হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ধর্ষিতা রোহিঙ্গা নারীরা ‘নেহরু ছাড়া ভারতে অন্য কোনো চিন্তাবিদ নেই না কি?’
সিরিয়ার রাকা শহরের কাছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএফ- এর হাতে এখন আটক আছেন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন স্ত্রী।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশে টিকা নিতে নিবন্ধনের হার অনেক বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এখন ৪০ বছর বয়সের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাতে প্রায় চার কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত এই চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন, "ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে এলে তখন ভ্যাকসিন দেয়ার ৪০ বছরের সীমা কমিয়ে আনা হতে পারে।'' টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে আজ দুপুরে বিশেষ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে চলমান টিকা দেয়ার কার্যক্রম এবং সংগ্রহের বিষয়সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মি. মালেক টিকা সংগ্রহের তাদের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা বাংলাদেশ কিনেছে, তার পাশাপাশি আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স এর এক কোটি নয় লাখ টিকা পাওয়া যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার জনসনের টিকা আনার চেষ্টাও করছে। আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: টিকায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে বাংলাদেশে যা করা হবে শর্ত শিথিল করলো সরকার, আরো যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন টিকা নিতে সুরক্ষা অ্যাপে যেভাবে নিবন্ধন করতে হবে শর্ত শিথিল করলো সরকার, আরো যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন টিকা নিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় কেটে গেছে অনেকের। মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামীতে আরও ভ্যাকসিন কেনার জন্য বিদেশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা প্রায় সাড়ে তিনশ' কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং তাদের মধ্যে ৩৩ লাখ ৪১ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আরও কিছু পেশার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার বিষয়েও মন্ত্রী তাদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক যারা রয়েছেন, তাদেরকেও টিকা দেয়া হবে। এছাড়া তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের জল-স্থল এবং বিমানবন্দরগুলোতে এবং পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরতদেরও এখন টিকা দেয়া হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: টিকা ছাড়া এবার হজে যাওয়া যাবে না, কী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ? জামায়াতের সঙ্গে জোট রাখা নিয়ে বিএনপিতে নতুন আলোচনা শুরু শ্রীলংকায় মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কবর হবে প্রত্যন্ত দ্বীপে সৌদি যুবরাজ বিন-সালমানের 'শাস্তি' চান খাসোগজির বাগদত্তা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার বয়সের সীমা এখনই ৪০ বছর থেকে কমিয়ে আনা হচ্ছে না।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দিদারুল আলম। গত ১৫ বছরের মধ্যে ১৩ বার এই খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। একটানা এতদিন তিনি কিভাবে তিনি সাফল্য ধরে রাখছেন? মি: আলম বলছেন এই খেলায় ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিয়ে না করা। তিনি এখনো বিয়ে করেননি বলে এই খেলায় সময় দিতে পারছেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “আমি এখনো বিয়ে-শাদী করি নাই। যার কারণে খেলায় সময় দিতে পেরেছি। যখন সংসার, ঝামেলা থাকবে তখন তো আর সময় দিতে পারবো না।” আজ চট্টগ্রামে আবারো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা। বিজয়ী হবার প্রত্যয় নিয়ে আবারো মাঠে নামবেন মি: আলম। ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে চলছে এই কুস্তি খেলা, যেটি স্থানীয়ভাবে বলী খেলা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর ১২ই বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলা, যাকে ঘিরে বৈশাখী মেলাও গড়ে উঠেছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আব্দুল জব্বার সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী এই খেলাটি শুরু করেন, যেটি এখনো জব্বারের বলী খেলা নামেই পরিচিত। এই প্রতিযোগিতায় ১৩বার চ্যাম্পিয়ন হবার কারণে দিদারুল আলম ‘দিদার বলী’ নামেই বেশি পরিচিত। গত ১৫ বছরের মধ্যে যে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দিদার বলীর নাম নেই সে দু’বার তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি। মাঝখানে দুই বছর অর্থাৎ ২০১২ এবং ২০১৩ সালে তিনি খেলতে পারেননি। তিনি বলেন, বলীখেলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ আছে। বৈশাখের আনন্দ নিয়ে এই খেলা হয়। মি: আলম বলেন, এই খেলায় আর্থিক লাভ খুব একটা নেই। শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখা এবং সুনামের জন্য তিনি এই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দিদার বলী উল্লেখ করেন। বলীখেলার জন্য তিনি শরীর সুস্থ রাখতে বেশ চেষ্টা করেন। নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি বেশ সতর্ক। দিদার বলীর বর্ণনায়, “রুটিন অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। সবকিছু নিয়ন্ত্রণের ভিতরে রাখতে হয়।” বলি খেলা শুরুর ছয়মাস আগে থেকে এই শারীরিক চর্চা শুরু করেন তিনি। এই বলি খেলার আনন্দ উপভোগ করার জন্য তিনি সারা বছর কষ্ট করেন।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে বলীখেলা বেশ জনপ্রিয়। গত ১৫ বছর ধরে এই খেলাকে যিনি মাতিয়ে রেখেছেন তিনি হচ্ছেন কক্সবাজারের ৩২ বছর বয়সী দিদারুল আলম।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
মাতৃত্ব পূর্ণসময়ের কাজ এবং এটিতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, 'আমি কি একজন বেকার লোক?' না, আপনি না: একটি মম বা একজন মা হিসাবে, আপনি ইতিমধ্যে একটি কাজ করছেন। আপনি পেশাগতভাবে 'কিছুই' করছেন বলে মনে করা সহজ। বা আপনি কোন অর্থ পাচ্ছেননা কিন্তু মাতৃত্ব পূর্ণসময়ের কাজ এবং এটিতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাই নিজেকে নিজেকে ছোট কোরো না। যদি আমরা আমাদের বাচ্চাদের জন্য কি করা উচিত, সেটি না করি তাহলে বিশ্বেরই আসলে কোন ভবিষ্যত নেই। কারণ আপনি চুপ করে বসে নেই। আপনি যা করছেন সেটি সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ২. মাতৃত্ব থেকে আপনি কি দক্ষতা অর্জন করেছেন? মাতৃত্ব অর্জনের পুরো পথপরিক্রমা আপনাকে একটি নতুন দক্ষতা দিয়েছে। নিয়মিত চেকআপ করানো, বাচ্চার খেলাধুলা দিনক্ষন ঠিক রাখা, অন্য মায়েদের সঙ্গে সংযোগ রাখা। ভাবুন আপনাকে একজন ভালো মা হওয়ার জন্য এগুলো অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। মা হিসেবেও আপনি আপনার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেন। নতুন মাকে শুরুতেই নিজের সমস্যা কর্তৃপক্ষকে খুলে বলতে হবে ৩. বিচ্ছিন্নতা কমান বাচ্চারা স্কুল গেলে আপনার হাতে তখন অনেক সময়। বাচ্চাদের একেকটি সুযোগের জানালা হিসেবে ভাবুন। সরাসরি কোন চাকুরীতে যোগ না দিয়ে আপনি ঐচ্ছিক কোন কাজে যোগ দিতে পারেন বা কাজ করছে এমন লোকদের গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। ৪. ক্যারিয়ার পরিবর্তনের বিষয়টি সহজে নিন মা হওয়ার আগে যে কাজ আপনি করতেন সেটি হয়তো পরে আর পাচ্ছেননা- তা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং এটিকে নতুন সুযোগ হিসেবে নিন ভাবুন আপনার সম্ভাবনার আরেকটি দিক উন্মোচিত হচ্ছে। ৫. নিজের প্রতি সদয় হোন নিজের ওপর অত্যাচার করবেননা। মনে রাখবেন এটি জীবনের একটি পর্যায় এবং এটি চিরস্থায়ী কিছু নয়। মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে আপনার জীবন শেষ হয়ে যায়নি। বরং আপনি জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনার পেশাগত জীবনে পুরোপুরি ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ৬. পরামর্শকদের কাছে সৎ থাকুন যখন কোন চাকুরীর জন্য যাবেন সেখানে নিজের সমস্যাগুলো জানান। সেখানে আপনাকে সাহায্য করার লোক আছে তাই সত্যি বলুন যে আপনার কি ধরণের সহায়তা প্রয়োজন। দৃঢ় থাকুন। আসা যাওয়ার খরচ, বাচ্চার জন্য অতিরিক্ত খরচ হবে কি-না এসব বিষয়ে জেনে নিন। যত ধরনের জটিল প্রশ্ন আপনার মনে আছে সেগুলো জানতে চান। জিজ্ঞেস করা উচিত এমন কোন কিছু জিজ্ঞেস করতে ভয় পাবেননা। নিজেকে মা পরিচয় দিতে লজ্জার কিছু নেই ৭. যথাযথ প্রস্তুতি নিন ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিন কারন এ নিয়ে নার্ভাস হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সাহস রাখুন। যদিও অল্প নার্ভাস হওয়াটা কাউকে সতর্ক হতে সাহায্য করে। কোম্পানি সম্পর্কে আগেই ভালোভাবে জেনে নিন। আর যদি সেটি পারেন তাহলে সততার সঙ্গে সেটিই তাদের বলুন যে পরিস্থিতির কারণে আপনি সব কিছু জানতে পারেননি। ৮. আপনি একজন মা এটি বলতে লজ্জা পাবেন না এটিই আগে জানান। আপনার সম্ভাব্য চাকুরীদাতা যদি এটি মাঝপথে জানতে পারেন তিনি হয়তো অবাক হবেন যে কেন আপনি এটি আগেই বলেননি তাদের। মাতৃত্ব অসাধারণ জিনিস, এ নিয়ে গর্বিত থাকুন। পাশাপাশি আপনার সময়সীমা, বাচ্চার স্কুল যাওয়ার বয়স এসব বিষয়েও জানিয়ে রাখতে পারেন। আপনার এমন কাজ দরকার যেটি আপনি করতে পারবেন, সুতরাং সেটির জন্যই আপনি শুরুতে কথা বলুন। নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে ৯. ভিন্নভাবে ভাবুন একটি চাকুরী পাওয়া মানে নয়টা পাঁচটা চাকুরী নয়। আপনি যখন কর্মজীবী মা তখন ভিন্ন সুযোগ গুলো সম্পর্কেও ভাবুন। অন্য কোন শখ বা দক্ষতা থাকলে সেটিও আয়ের উৎস হতে পারে। মা-কেন্দ্রিক সুযোগ গুলো দেখুন। মা হওয়া মানেই এই নয় যে আপনি আর বড় কিছু ভাবতে পারবেননা। ১০. নিজের প্রতি যত্ন নিন নিজের যোগ্যতার প্রতি আস্থাশীল হোন। আশপাশে ইতিবাচক মানুষ রাখুন যারা প্রয়োজনে আপনাকে সমর্থন যোগাবে। অন্য মায়েদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন নিজের যত্ন নেয়া ও আপনার ভালো দেখবে এমন মানুষদের সাহচর্যে থাকা আসলেই দারুণ বিষয়।
সোমবার থেকেই শুরু হলো যুক্তরাজ্যের মাতৃ মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহ। ইয়াং মামস সাপোর্ট নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ফিওনা স্মল নতুন মায়েদের কাজে ফেরায় সহায়ক দশটি পরামর্শ দিয়েছেন। ১.বুঝুন আপনি কোথায়?
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
২০১৯ সালের প্রথম সোমবারকে 'বিচ্ছেদের দিন বলে ডাকছেন বিশেষজ্ঞরা' সুতরাং কি এমন ঘটে, যা এতো যুগলকে এরকম উৎসবের মতো করে বিয়ে বিচ্ছেদে আগ্রহী করে তোলে? ব্রিটেনের সম্পর্ক বিষয়ক একটি দাতব্য সংস্থার তথ্য মতে, দেশটির ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ মনে করে, ক্রিসমাস আর নতুন বছর হচ্ছে অতিরিক্ত উত্তেজনা এবং সম্পর্কে চাপের কারণ। '' কেউ বলছে না যে, ক্রিসমাসই কাউকে বিচ্ছেদ বা ছাড়াছাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি এর মধ্যেই নানা সমস্যার মধ্যে থাকেন, তাহলে এই উৎসবের অতিরিক্ত চাপ, যেমন অতিরিক্ত খরচ এবং পারিবারিক বিরোধে খারাপ লাগা শেষপর্যন্ত বিচ্ছেদের দিকে গড়াতে পারে'', বলছেন সিমোন বোস, রিলেটের একজন পরামর্শক। ফলে ছুটি শেষে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বিচ্ছেদের ব্যাপারে আলাক করতে চাওয়া যুগলের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে, যুক্তরাজ্যের অনলাইন এইচএম কোর্ট এন্ড ট্রাইব্যুনাল সার্ভিস জানিয়েছে, সংস্থাটি ক্রিসমাসের শুরু থেকে নববর্ষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের জন্য ৪৫৫টি অনলাইন আবেদন এসেছে। যার মধ্যে ১৩টি আবেদনই ছিল ক্রিসমাসের দিনে। বিচ্ছেদ বিষয়ক একটি সহায়তা প্রতিষ্ঠান, অ্যামিকেবলের তথ্য মতে, শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাজ্য জুড়ে ৪০৫০০ মানুষ 'বিচ্ছেদ' শব্দটি লিখে কম্পিউটারে সার্চ করেছে। জানুয়ারির আগে ঠিক কী ঘটে? অনেক সময় ছুটি বা অবকাশে গিয়ে খরচসহ নানা কারণে তৈরি হওয়া বিরোধ থেকে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হয় ''এটা পরিষ্কার যে, ক্রিসমাস আর নববর্ষ হচ্ছে এমন একটা সময় যখন যুগলরা লম্বা একটা সময় ধরে একত্রে থাকে এবং তাদের আবেগও উত্তুঙ্গ অবস্থায় থাকে,'' বলছেন অ্যামিকেবলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কেট ড্যালি। সম্পর্ক খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সন্তান বা পরিবারের কথা ভেবে অনেক যুগল তাদের খারাপ সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যান। অন্য অনেকে আরেকবার শেষ চেষ্টা করে দেখতে চান। অনেক সময় যুগলরা ক্রিসমাস বা কোন ছুটির দিনের কথা আলাপ করতে গিয়ে ঝগড়ার মতো পরিস্থিতি এড়িয়ে চলেন। তখন তারা পরিবার বা ভবিষ্যতে একসঙ্গে সময় কাটানোকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু সম্পর্ক যদি তলানিতে গিয়ে ঠেকে, তখন কোন আকর্ষণহীন জীবন কাটানো, ধরাবাঁধা পারিবারিক কাজের মধ্য দিয়ে গেলে সেটা ক্রমেই একঘেয়ে বলে মনে হতে পারে। হয়তো মনে হতে পারে এরকমটা আর বহন করা সম্ভব নয়। বছরের এই উৎসবের সময়টায় এসে অতিরিক্ত খরচ আর পারিবারিক চাপের কারণে এ ধরণের খারাপ সম্পর্কগুলো আর টিকে থাকতে পারে না, বরং দীর্ঘদিনের চাপা পড়ে থাকা বিষয়গুলো সামনে বেরিয়ে আসে। সুতরাং মাস শেষে, যেমনটা বলছে ড্যালি, ''এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, অনেক মানুষ বুঝতে শুরু করে যে, তারা অখুশি এবং ছাড়াছাড়ির বিষয়টি ভাবতে শুরু করে।'' এটা শুধুমাত্র ক্রিসমাস শেষেই হয় তা নয়, বরং গ্রীষ্মের ছুটি শেষেও বিচ্ছেদের এই প্রবণতা দেখা যায়। নতুন বছরের প্রতিশ্রুতি অনেক মানুষ নতুন বছরকে নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ হিসাবে দেখেন সাধারণত নতুন বছরকে দেখা হয় ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার, নিজেদের পুনরায় গড়ে তোলার ও নতুন করে শুরু করার একটি সময় হিসাবে। কোন মানুষ যদি ভাবতে থাকে যে, সে একটি খারাপ পরিস্থিতি বা সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে, তারা হয়তো সেই অবস্থায় আরো ১২টি মাস আর থাকতে চাইবে না-সেটা শারীরিক বা মানসিকভাবেই হোক না কেন। ''দুঃখজনক ব্যাপার হল, অনেক যুগল মনে করে যে, ফেরত যাওয়ার আর কোন উপায় নেই এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা বিচ্ছেদ করতে চান,'' বলছেন ড্যালি। অ্যামিকেবলের তথ্য বলছে, বিচ্ছেদ নিয়ে ২০১৮ মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহের দিনটি ছিল বছরের প্রথম কর্ম দিবসটি। দাতব্য সংস্থা রিলেটের তথ্যও বলছে, জানুয়ারির প্রথম কর্ম দিবসে বিচ্ছেদের বিষয়ে তারা ১৩ শতাংশ নতুন টেলিফোন পান এবং ওয়েবসাইটে ৫৮ শতাংশ ব্যবহারকারী বেড়ে যায়। তবে তারা এটাও বলছেন, সঠিকভাবে পরামর্শ পেলে অনেক দম্পতি তাদের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে পারে, অথবা অন্তত বেদনাহীনভাবে সম্পর্কটি শেষ করতে পারেন। কিভাবে সম্পর্কের ঝামেলা এড়ানো যায়: সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন প্রতিটি সম্পর্কেই মনোযোগ ও যত্নের দরকার হয়। কিন্তু সেজন্য আপনি একা নন। আপনি যদি পারিবারিকভাব চমৎকার একটি ছুটি উপভোগ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেজন্য রিলেটের কিছু পরামর্শ রয়েছে: ...........অথবা ভালোভাবে বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে পারেন। বিচ্ছেদ যদি করতেই হয়, সেক্ষেত্রে ভালোভাবে সেটি করার জন্য বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ রয়েছে: তালাক নিয়ে আলোচনা ১.বিচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু পর যদি আপনি সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে আবার সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন, তাহলে হয়তো অযথাই সময় ক্ষেপণ হবে। কারণ আপনি এবং আপনার সঙ্গী হয়তো তখন ভিন্ন ধরণের মানসিক অবস্থায় রয়েছেন। আপনার সঙ্গীকে খানিকটা সময় দিন, যাতে তিনি পুরো বিষয়টি আবার ভেবে দেখতে পারেন। বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শক বা পেশাদারদের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে, যা হয়তো বিচ্ছেদের সময়কার বেদনার কাটিয়ে ওঠা এবং মানিয়ে নিতে সহায়তা করতে ২. আবেগ নয়, যুক্তির দিক থেকে আলোচনা করুন। বড় ধরণের কোন আইনি ঝামেলায় না গিয়েই আলোচনার মাধ্যমে ভালোভাবে বিচ্ছেদ করা সম্ভব। তবে বিয়ের সময় যেমন জীবনযাপন করেছেন, দুজনের কেউই হয়তো বিচ্ছেদের পরে আর সেরকম জীবনযাপন করতে পারবেন না- প্রথমেই এটা মেনে নেয়া ভালো। ৩. বিচ্ছেদ যদি করতেই হয়, তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে একটি সময় ঠিক করে নিন, এবং সেই সময়ে স্থির থাকুন। কারণ বিচ্ছেদের বিষয়টি যতো দীর্ঘ হবে, ততো কষ্ট এবং খরচ বাড়বে। ৪. বিচ্ছেদের খরচ বা অর্থনৈতিক বিষয়ে দুজনে যৌক্তিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নিন। সেখানে সম্পদ এবং ঋণ- উভয়ের ক্ষেত্রেই দুজনকে সমান দায়িত্ব নিতে হবে। ৫. প্রথমেই কোন আইনজীবীর কাছে না দৌড়ানো ভালো। কারণ সেটি খরচ বাড়িয়ে দেয়। বরং প্রথমে নিজে থেকে বিচ্ছেদের আইনকানুন জেনে নিন। অনেক সংস্থা এক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরামর্শ ও সহায়তা করে থাকে- তাদের সাহায্য নিতে পারেন। ৬. অতীতের দিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখুন। আলোচনার ধরণ পাল্টান। চিন্তা করুন, কিভাবে নিজেকে সুখী করা যায়। যদি সন্তান থাকে, তাহলে ভাবুন তাদের কিভাবে খুশী রাখা যায়। অতীত ভেবে নিজের সময়, শক্তি বা অর্থ নষ্ট করবেন
জানুয়ারির প্রথম সোমবারকে 'বিচ্ছেদের দিন' বলে ডেকে থাকেন পরিবার নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা, এদিন অনেক মানুষ জানতে চান, কিভাবে ভালোভাবে তাদের বিয়ের সমাপ্তি টানা যায়।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
চাকরির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে। (ফাইল ছবি) এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে কী এই কোটা ব্যবস্থা এবং কেন এটা নিয়ে বিক্ষোভ? কোটা ব্যবস্থা কেন এবং কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল? ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সন্তানদের সুবিধা দেবার জন্য প্রথমে এ কোটা চালু করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে প্রথম এই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু ক্রমান্বয়ে এই কোটার পরিধি বেড়েছে। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী-নাতনীদের জন্য এ কোটা প্রযোজ্য হচ্ছে। ৬৪টি জেলার জন্য কোটা আছে।মূলত দেশের অনগ্রসর মানুষকে সুবিধা দেবার জন্যই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরিতে কোটা বাংলাদেশের সরকারী চাকরীতে এখন ২৫৮ ধরনের কোটা আছে। বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সূত্রমতে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে মোট পাঁচটা ক্যাটাগরিতে কোটার ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। কোটা সংস্কারের দাবিগুলো কী? 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ'এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল - •কোটা-ব্যবস্থা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। সেটিকে ১০% এ নামিয়ে আনতে হবে) •কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া •সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- ( মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরীর বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০। সেখানে অভিন্ন বয়স-সীমার দাবি আন্দোলনরতদের।) •কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া যাবে না ( কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রচুর তরুণ বিসিএস পরীক্ষার প্রস্ততি নিতে সময় কাটান (ফাইল ছবি) •চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশে প্রচলিত কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুধু শিক্ষার্থী বা চাকরি-প্রার্থীদের মাঝেই রয়েছে তেমনটি নয়, বিশেষজ্ঞদেরও মতামত রয়েছে কোটা সংস্কারের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আকবর আলি খান সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সন্তানদের সুবিধা দেবার জন্য প্রথমে এ কোটা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এখন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী-নাতনীদের জন্য এ কোটা প্রযোজ্য হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। আকবর আলি খান বলেন, এ কোটা ব্যবস্থার কারণে অনেক মেধাবী প্রার্থীরা চাকরির পরীক্ষা দিতে রাজী হয় না।
বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
হামলার পর একটি তেলের ট্যাংকারে আগুন ধরে যায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, তাদের কাছে এমন এক ভিডিও ফুটেজ আছে, যা প্রমাণ করে এটা ইরানের কাজ। তারা আরও দাবি করছে, এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড ক্ষতিগ্রস্ত একটি তেলের ট্যাংকারের একপাশ থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন বা বোমা সরিয়ে নিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। মাত্র এক মাস আগে একই রকমের এক বিস্ফোরণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে উপসাগরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল আরও চারটি তেলের ট্যাংকার। সেবারও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর পক্ষে কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজের একটি স্থিরচিত্র। ইরানের টহল নৌযান তেলের ট্যাংকার থেকে কী সরিয়ে নিচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্র আর ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে। তিনি ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ইরানের বিরুদ্ধে। কোন দেশ যেন ইরান থেকে তেল কিনতে না পারে, সেজন্যেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার পর তেলের দাম চার শতাংশ বেড়ে গেছে। যেখানে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমূদ্রপথ। বিশ্বে প্রতি বছর যত তেল রফতানি হয়, তার এক পঞ্চমাংশ যায় হরমুজ প্রণালী এবং সন্নিহিত উপসাগরীয় এলাকা দিয়ে। এখানে কোন ধরনের বিপত্তি ঘটলে, তেলের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতার আশংকা আছে। কী ঘটেছিল ওমান উপসাগরে স্যাটেলাইট থেকে তোলা হরমুজ প্রণালীর ছবি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুযায়ী ঐ অঞ্চলে মোতায়েন তাদের নৌবহরের কাছে দুটি বিপদ সংকেত বা এসওএস বার্তা আসে দুটি তেলের ট্যাংকার থেকে। দুটি ট্যাংকারেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল এবং এর একটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনার পর পর সেখানে ইরানের নৌ টহল বোটগুলোর তৎপরতা দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে এর মধ্যে একটি টহল বোট ক্ষতিগ্রস্ত একটি তেলের ট্যাংকারের পাশে গিয়ে অবিস্ফোরিত একটি মাইন সরিয়ে ফেলে। আরও পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প ইরানের 'হুমকি' ঠেকাতেই সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি? দুটি ট্যাংকারের নাবিকদেরই উদ্ধার করে কাছাকাছি থাকা অন্য জাহাজগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এঘটনার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেন। ইরান কী বলছে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। হরমুজ প্রণালীতে টহল দিচ্ছে ইরানের নৌবাহিনী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ টুইট করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিন্দুমাত্র প্রমাণ ছাড়াই এই অভিযোগ তুলছে। তারা কূটনীতিকে বানচাল করতে 'অন্তর্ঘাতমূলক' তৎপরতা চালাচ্ছে। বিবিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র যে প্রমাণ হাজির করেছে তাদের দাবির পক্ষে, সেটা হয়তো আগেরবারের চেয়ে জোরালো। এর আগের হামলার সময় তারা কিছু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা ভিডিওতে যে টহল নৌযান দেখা যাচ্ছে, ইরানের বিপ্লবী বাহিনী সে ধরনের নৌযানই ব্যবহার করে। ইরান সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় এলাকায় তাদের নৌবাহিনীর জায়গায় বিপ্লবী বাহিনীকেই বেশি মোতায়েন করছে। এই বাহিনীর ছোট-বড় বহু ধরনের নৌকা এবং জাহাজ আছে যেগুলো দ্রুত চলাচল করতে পারে। মাইন, মিসাইল এবং টর্পেডোবাহী এসব ছোট নৌযান সনাক্ত করাও কঠিন। বিপ্লবী বাহিনী ঐ এলাকায় নিয়মিত মহড়া দেয়। গোপনে তৎপরতা চালায়। তবে বৃহস্পতিবার দুই ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরান দাবি করছে অন্য কোন পক্ষকে, যারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ক্ষতি করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা ভিডিওটি আসল, নাকি নকল, তা নিয়ে তেহরানের সংশয় আছে।
ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে গতকাল যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার পেছনে কি আসলে ইরানেরই হাত ছিল?
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট বলছে, সারাদেশে বছরে আনুমানিক ছয় লক্ষ লোক আগুনে পুড়ে যায়। প্রথমে সিলেট মেডিকেলে নিয়ে গেলেও পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়। মি. রমজানের ভাই মোহর আলী বলছিলেন, "বাসার টুকটাক কাজ আমরা বাসায় করি, কিন্তু সেদিন যে এমন দুর্ঘটনা ঘটবে সেটা কারো চিন্তায় ছিল না।" মি. রমজান ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে একমাস ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মত অনেকেই বাসা-বাড়িতে বিভিন্ন কাজ করতে যেয়ে আবার অনেক সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণ, গরম পানি বা বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনে পুড়ে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট বলছে, সারাদেশে বছরে আনুমানিক ছয় লক্ষ লোক আগুনে পুড়ে যায়। আর আগুনে পুড়ে প্রতিদিন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসছেন ২০ থেকে ২৫ জন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ বাসা বাড়িতেই অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, যখন তারা চিকিৎসা নিতে আসেন তখন দেখা যায় তাদের মধ্যে সচেতনতার ভীষণ অভাব রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ড. সামন্ত লাল সেন বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আরও পড়তে পারেন: বিচারের আগেই 'অপরাধী'র তকমা, কতটা আইনসিদ্ধ? বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের জেল 'ভেবেছিলাম পড়ার ভয়ে হোস্টেলে যেতে চাইছে না' সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অগ্নি নির্বাপন সংক্রান্ত প্রদর্শনীর আয়োজন। "যেমন বাসা-বাড়িতে রান্না করতে গিয়ে শাড়ি পড়ে রান্না করে, অগোছালো থাকে তখন ওখান থেকে আগুন ধরে যায় অনেক সময়। আবার বাচ্চাদের বেলায় দেখা যায় গৃহকর্মীরা যখন গরম পানি ডেকচিতে করে নিয়ে যায়, কিন্তু সেটা যদি বালতিতে করে নেয়া যায় তাহলে কিন্তু এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়না। আমাদের দেশে এগুলো খুব খুব কমন(সাধারণ)কারণ।" ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ছয় বছরে সারাদেশে ৮৮ হাজারের মতো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ৪ শ' জন, আহত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার মানুষ। কেবল সচেতনতা ও অগ্নিকান্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণসহ নির্বাপণের সরঞ্জাম রাখলে আগুনের ভয়াবহতা কমিয়ে আনা সম্ভব। এমন এক প্রেক্ষাপটে ঢাকায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্স-পো। আয়োজকরা বলছেন আন্তর্জাতিক এই এক্সপোতে বিভিন্ন দেশে থেকে কোম্পানি অংশ নিয়েছে। তারা তাদের দেশের তৈরি অগ্নিনির্বাপণের অত্যাধুনিক যন্ত্র এমনকী রোবটও প্রদর্শন করছে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর একে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, "এগুলোর মাধ্যমে মানুষকে আসলে সচেতন করা হচ্ছে যে, আগুনের নিরাপত্তার বা পূর্ব-প্রস্তুতির কোনও বিকল্প যে নাই সেটি তুলে ধরা হচ্ছে।"
একমাস আগে আগুনে পুড়ে যান মোহাম্মদ রমজান। সিলেটের জৈন্তাপুরে বাসা-বাড়ীতে পাইপ জোড়া লাগানোর কাজের সময় তার শরীরের ৪৫ শতাংশ ঝলসে যায়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নতুন ভিডিওতে বাংলায় কথা বলা তিন তরুনের প্রথমজন বিশ্বজুড়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে এমন সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার কোন এক সময়ে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ থেকে বাংলাদেশি আইএস যোদ্ধারা গুলশানের হামলাকারীদের প্রশংসা করছে এবং বাংলাদেশে এরকম আরো হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। প্রায় ছয় মিনিটের এই ভিডিওটির শুরুতেই ছিল ঢাকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে কথিত আইএসের দাবি করা হামলা সমূহের বিবরণ। ভিডিওর তৃতীয় তরুন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল একটি আরবি ভাষার সঙ্গীত, যে সঙ্গীতটি প্রায়শই আইএসের বিভিন্ন ভিডিওর আবহ সঙ্গীত হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওতে এক তরুণের আবির্ভাব হয়। তার গায়ে শার্ট, মাথায় কান ঢাকা কালো টুপি, কাঁধে ব্যাগ। কোন এক শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে সে, বিদেশী কোন শহর। সে বাংলায় কথা বলছিল। সে বাংলাদেশের সরকার ও কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছিল এবং বলছিল এবার তারা যে ‘জিহাদ’ প্রত্যক্ষ করেছে এর আগে সেটা তারা দেখেনি। তার বক্তৃতার শেষ অংশটি ছিল ইংরেজিতে। এখানে সে বাংলাদেশের হামলাকে ‘গতকালের’ হামলা বলে উল্লেখ করছিল। ভিডিওর দ্বিতীয় তরুন যার ফলে মনে করা হচ্ছে ভিডিওটি গুলশান হামলার পরদিন, অর্থাৎ শনিবার সিরিয়া সময় সন্ধ্যের পর ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে বক্তাদের পেছনে প্রচুর যানবাহন চলতে দেখা যাচ্ছিল। এই তরুণের বক্তব্যের পর আরো দুজন তরুণের বক্তৃতা ছিল ভিডিওতে। তারাও বাংলায় বক্তব্য দিচ্ছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল পাঞ্জাবী পরা। তার মুখ ছিল কাপড়ে ঢাকা। তৃতীয় তরুণটি ছিল টিশার্ট পড়া। তার মাথাতেও ছিল কান ঢাকা কালো টুপি। কাঁধে ব্যাগ। মুখে ঘন কালো দাড়ি। সে গুলশানের হামলাকারীদের প্রশংসা করছিল। এই ভিডিওটি এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বহুবার শেয়ার হচ্ছে। শুক্রবার গুলশানে ক্যাফেতে চালানো হামলার প্রশংসা করা হয় ভিডিওতে এরই মধ্যে যে দুজনের চেহারা দেখা গেছে তাদের চিনতে পারছে কেউ কেউ। প্রথম বক্তাকে যারা চিনতে পারছেন তারা বলছেন, সে ছিল বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির চাকুরে এবং সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সঙ্গীত বিষয়ক রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তার। সঙ্গীতাঙ্গনের দু-একজন এবং ওই মোবাইল ফোন কোম্পানিটির কয়েক জনের সাথে কথা বলে এই দাবির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় তরুণটির পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। প্রথমজন দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সে তিন বছর ধরে চাকরি করছে না আর। এই সময়ের মধ্যে সে কোন সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি, কোনও অ্যালবামও তার বের হয়নি বলে জানাচ্ছেন ঢাকার একজন সঙ্গীতশিল্পী। একটি সূত্র জানাচ্ছে সে এক বছর আগে সপরিবারে সিরিয়া চলে যায়।
ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরার হামলার প্রেক্ষাপটে সিরিয়া থেকে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে কথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী, যেখানে বক্তারা বাংলায় কথা বলছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
একজনের মাথা আরেকজনের দেহে বসিয়ে ভুয়া পর্নো তৈরি করা হচ্ছে ফেকএ্যাপ দিয়ে অবস্থা এমন হয়েছে যে জিফিক্যাট নামের একটি ইমেজ হোস্টিং সাইট এসব ভিডিও মুছে দেবার কাজে নেমেছে। সানফ্রান্সিসকো ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে তারা এরকম অনেক 'আপত্তিকর' ভিডিও ইন্টারনেট থেকে মুছে দিয়েছে। নাটালি পোর্টম্যান, নাটালি ডোরমার, এমা ওয়াটসন -এরকম একাধিক অভিনেত্রী বা গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে-র মুখ আরেকজনের ঘাড়ে বসিয়ে দিয়ে তৈরি করা পর্ন ভিডিও ইন্টারনেটে এসে গেছে। কেউ বা ব্যবহার করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেহারা। এমনকি সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনের চেহারা জুড়ে দিয়েও এরকম ভিডিও বানানো হয়েছে। একটি ভিডিওতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরিণত কর হয়েছে ড. ইভিল চরিত্রে এধরণের ভুয়া ভিডিও তৈরির এক নতুন প্রযুক্তি এখন সহজপ্রাপ্য হয়ে যাবার ফলে এখন লোকে তাদের যৌন কল্পনাকে 'বাস্তবে' পরিণত করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে পারছে। এতে অনেক সময় ব্যবহার করা হচ্ছে ফেকএ্যাপ নামের একটি সফটওয়্যার। একজনের শরীরে আরেক জনের মাথা বসানোর এই ভিডিও সফটওয়্যারের ডিজাইনার বলেছেন, তার তৈরি সফটওয়্যারটি একমাসেরও কম সময় আগে ছাড়া হয়েছে। এবং এর মধ্যেই তা ডাউনলোড হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। অভিনেত্রী এমা ওয়াটসনের মাথা জুড়ে দিয়ে তৈরি হয়েছে ভুয়া পর্ন ভিডিও এরকম ছবি বা ভিডিও আগেও বানানো যেতো, কিন্তু তা করতে হলে আপনার দরকার হতো হলিউডের একজন সিনেমা সম্পাদকের দক্ষতা এবং বিপুল পরিমাণ টাকা। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার অনেক সহজ হয়ে গেছে। আপনার দরকার হবে একজনের কয়েকশ' ছবি, আর একটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও। আপনার কম্পিউটারই বাকি কাজটা করে দেবে। তবে সময় লাগবে, একটা ছোট ভিডিও ক্লিপ বানাতে সময় লাগে ৪০ ঘন্টা বা তারও বেশি। দেখা গেছে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসব ডিপ ফেক বা ভুয়া পর্নো ভিডিওর জন্য সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সার্চ দেয়া খুব বেড়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'আমি তো সুস্থ আমি কেন ডাক্তারের কাছে যাবো?' কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? কুলভূষণ র'-এর গুপ্তচর, বললো ভারতেরই পত্রিকা! যাদের মতে টুইন টাওয়ার বিমানের আঘাতে ভাঙে নি
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে অনলাইনে এক ধরণের পর্নো ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়াতে শুরু করেছে - যাতে কোন একজন অভিনেত্রীর মাথা আরেক নারীর দেহে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। একে বলা হচ্ছে 'ডিপ ফেক।'
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারের পর বিক্ষোভের একটি দৃশ্য। এর কারণ হলো আলোচিত একজন ছাত্রনেতা সেখানকার একটি আসনের জন্য লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অথচ কানহাইয়া কুমার নামের এই প্রার্থী মাত্র দু'বছর আগেই কথিত ভারত বিরোধী স্লোগানের দায়ে 'রাষ্ট্রদ্রোহিতা'র অভিযোগে জেল খেটেছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে বেগুসারাই নির্বাচনী আসন থেকে লড়াই করেছেন মিস্টার কুমার, যেখানে সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিহারের একটি গ্রাম বিহাট। সেখানেই নিজের বাড়ি থেকে যখন বের হন কানহাইয়া কুমার তখনি দেখা যায় তরুণরা তাকে ঘিরে ধরছেন কিংবা তার সাথে সেলফি তোলার চেষ্টা করছেন। অনেকের গায়ে দেখা যায় মিস্টার কুমারের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট। এ গ্রাম থেকে উঠে আসা মিস্টার কুমার ভারতের রাজনীতিতে আলোচিত হয়েছেন মূলত জেলে যাবার সময়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইয়েতির পায়ের ছাপ: ভারতীয় আর্মির দাবি নিয়ে বিদ্রুপ শ্রমিক আন্দোলনের ধারা বদলে গেল যেভাবে মির্জা ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার ঘূর্ণিঝড়ের ফণী নামটি কোথা থেকে এলো? কথিত ভারত বিরোধী স্লোগানের দায়ে 'রাষ্ট্রদ্রোহিতা'র অভিযোগে জেল খেটেছিলেন কানহাইয়া কুমার। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতা থাকার সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তিনি ক্যাম্পাসেই একটি অনুষ্ঠানে ভারত বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। কাশ্মীরের মোহাম্মেদ আফজাল গুরুর ফাঁসির বার্ষিকীতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর জের ধরে মিস্টার কুমারকে গ্রেফতার করা হলে তা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ শুরু হয় দেশজুড়ে। শুরু হয় বিজেপির তীব্র সমালোচনা। মিস্টার কুমার এখনো সেই মামলায় লড়ছেন। কিন্তু এর মধ্যেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেন তিনি। স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ এর ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার বলছেন, "আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন কানহাইয়া।" এর মধ্যেই নিজের পিএইচডি শেষ করেছেন কানহাইয়া কুমার। সোমবার দেশের রাজনীতিতে কার্যত তিনি প্রবেশ করেছেন, কারণ কমিউনিস্ট পার্টির বা সিপিআই এর প্রার্থী হিসেবে যে আসনের জন্য তিনি লড়ছেন তাতে ওইদিনই ভোট হয়েছে। কানহাইয়া কুমারের মা একজন গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মী। যদিও তিনি তাতে জয়ী হচ্ছেন কি-না সেটি জানা যাবে আগামী মাসে ভোট গণনার পর। ওই আসনটি অবশ্য একসময় কমিউনিস্টদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। "রাজনীতিতে আসা পছন্দের বিষয় নয়। এটা দায়িত্ববোধ," নির্বাচনী এক সমাবেশে বলছিলেন মিস্টার কুমার। তিনি বলেন, "আমাদের সংবিধান বলে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হবে। কেউ যদি একটি বিশেষ ধর্মকে সামনে আনার চেষ্টা করে বা দেশের চরিত্র বদলানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেটির প্রতিবাদ করবো।" কানহাইয়া কুমার বিহার ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার রাজ্য। ৪০টি আসনের মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিলো ২২টি। সোমবারের নির্বাচনে মিস্টার কুমারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির গিরিরাজ সিংহ। যারা মোদীর বিরোধিতা করবে তাদের পাকিস্তান যাওয়া উচিত- এমন মন্তব্য করে একসময় আলোচনায় এসেছিলেন মিস্টার সিংহ। এর বিপরীতে শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলোতে জোর দিয়েও বেশ পরিচিতি পেয়েছেন মিস্টার কুমার। এর মধ্যে সিভিল সোসাইটি, অধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন ধরণের তারকাদের সমর্থন পেয়েছেন কানহাইয়া। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে তরুণদের এক ধরণের আগ্রহ তো দৃশ্যমানই।
ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্যগুলোর একটিতে একটি জেলা বারবার দেশটির সংবাদ শিরোনাম হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
২০১৪ সালের পয়লা জানুয়ারি ভোর ৫টায় সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্ব ব্লকে ক্যামেরায় ধরা পড়া বাঘের ছবি (বাঁয়ে)। দ্বিতীয় ছবিটি ধরা পড়েছে ২০১৩ সালের ১৭ই নভেম্বর রাত ১২টা চল্লিশ মিনিটে (ডানে)। আর দু বছর ধরে বন বিভাগ ও বাঘ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করা জরিপের ফল অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন ১১৪টি। জরিপের জটিল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক ড: আব্দুল আজিজ। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ২০১৫ সালের বন বিভাগের জরিপে ১০৬টি বাঘের সংখ্যা পাওয়া গেলেও এবার তারা ১১৪টি বাঘের অস্তিত্ব পেয়েছেন। বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির খবরে উৎফুল্ল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে সুন্দরবনকে খুলনা,বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অংশে ভাগ করে প্রায় দু বছর ধরে এবারের জরিপটি চালানো হয়েছে। ৪৯১ টি ক্যামেরা ২৪৯ দিন চালু থেকে প্রায় আড়াই হাজার ছবি তুলেছেন যেগুলো পরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা পর্যালোচনা করেছেন। অধ্যাপক আব্দুল আজিজ বলছেন ২০১৫ সালে যে ১০৬টি বাঘের সংখ্যার কথা বলা হয়েছিলো সেটি ছিলো খুবই বিস্ময়কর সংবাদ কারণ এর আগের জরিপে বাঘের সংখ্যা তিনশর বেশি বলা হয়েছিলো। সেখান থেকে ১০৬-এ নেমে যাওয়াটা ছিলো অনেক বড় ধাক্কা। "এখন দেখা যাচ্ছে তিন বছরে আটটি বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে এ সংখ্যা বাড়ার একটি ইঙ্গিত মিলছে"। আবার এই প্রথম বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও গবেষকরাও এ জরিপ পরিচালনা ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করেছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বাঘ ব্যবস্থাপনার জন্য, বলছেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ শুমারি: কিভাবে হয় ক্যামেরা ট্র্যাপিং? 'মুসলিম নারী হলেও সমকামী হওয়া যায়' যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে লাভ ভিয়েতনামের? ক্যামোফ্লেজ রং করা ক্যামেরাগুলো সর্বক্ষণ সচল থাকে। সামনে কোনও নড়াচড়া ধরা পড়লেই ক্যামেরাটি ছবি তোলে আরেকজন বাঘ বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বিবিসি বাংলাকে বলেন সুন্দরবনের বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত সেটা জানাটা খুবই কঠিন। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে যে সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে সেটি একটা গড়পড়তা হিসেব। "বাঘের সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। তবে এবার যে সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে তাতে এটুকু বলা যায় যে বাঘের সংখ্যা কমেনি। যদিও বেড়েছে বলা যাবে কি-না জানিনা"। মিস্টার খান এই যে বাঘের সংখ্যা অন্তত কমে যায়নি সেটিই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বড় অর্জন। "এই যে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে একটি সংখ্যা পাওয়া গেলো এবং তাতে দেখা যাচ্ছে আগের হিসেবের চেয়ে কমেনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে মনে করা হচ্ছিলো যে বাঘের সংখ্যা কমতির দিকে। সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে"। মিস্টার খান অবশ্য বলেন এ নিয়ে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই কারণ বাঘের জন্য প্রধান যে হুমকি সেই চোরাশিকারীর সমস্যা বিদ্যমান আছে। আবার সুন্দরবনের আশেপাশে শিল্পায়ন হচ্ছে, এমনকি ভেতরে দূষণের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। "বাঘ সংরক্ষণ একটি চলমান কার্যক্রম এবং সেটি আরও জোরদার করতে হবে। টাইগার অ্যাকশন প্লান আপডেট করা হয়েছে এবং সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কি করনীয় সেটাও বলা আছে। এগুলো ঠিকমতো অনুসরণ করলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে"।
বন বিভাগের করা এবারের জরিপটি কার্যত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই এবং এই প্রথম বাংলাদেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ করলো।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২,১৫২ জন। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৪০ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬২১ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৪,৯৭৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২,১৫২ জন। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৭ জন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ১৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৭ জন আর বাড়ীতে ২ জন, এবং এক জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৯ দশমিক ১১ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ জন। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার ৮২৬ জনের। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১,৭০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশ সম্প্রতি ইউরোপের সাথে সব ধরণের বিমান যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করলেও যুক্তরাজ্যের সাথে যোগাযোগ অব্যহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। রবিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বিবিসিকে জানান, গত শুক্রবার থেকে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। রবিবার তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল। এর আগেই মৃত্যু হলো তার। সিভিল সার্জন মি. মণ্ডল অবশ্য বলছেন, "তারপরেও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, করোনাভাইরাসেই তার মৃত্যু হয়েছে কিনা।'' দাফনের পরপরই তার পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টিনে নেয়া হবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, চৌঠা মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পর তার জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে ২০শে মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে আরও তিনজন রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালটিতে আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি ইউরোপের সাথে সব ধরণের বিমান যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করলেও যুক্তরাজ্যের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।
বাংলাদেশের সিলেটের একটি হাসপাতালে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
স্কুলে পড়াশোনার খরচ প্রতিবছর বাড়ছে। কোন দেশে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সময় কিম্বা সবচেয়ে কম সময় স্কুলে থাকতে হয়? কোন দেশের অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার পেছনে খরচ করতে হয় সবচেয়ে বেশি অর্থ? এখানে সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার এরকম কিছু পরিসংখ্যান ও তথ্য তুলে ধরা হলো: যুক্তরাষ্ট্রে কিন্ডারগার্টেন থেকে মাধ্যমিক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর পেছনে গড়ে একটি পরিবারের খরচ হয় ৬৮৫ ডলার। গত এক যুগে এই খরচ দ্বিগুণের মতো বেড়েছে। এই হিসেবে সব খরচ এক সাথে যোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের শিক্ষা বছরে অভিভাবকদের মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে ২,৭৫০ কোটি ডলার। পড়ালেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কম্পিউটারের পেছনে। প্রত্যেক পরিবারে এই খরচ ২৯৯ ডলার। তারপরে রয়েছে স্কুলের পোশাক-আশাক বা ইউনিফর্ম, ২৮৬ ডলার। ট্যাবলেট ও ক্যালকুলেটরের মতো ইলকেট্রনিক যন্ত্রপাতি কিনতে লাগে ২৭১ ডলার। সবচেয়ে কম অর্থ খরচ হয় যেসব জিনিসের পেছনে তার মধ্যে রয়েছে ফাইল, ফোল্ডার, বই, হাইলাইটারসহ অন্যান্য সামগ্রী। এসব জিনিসের পেছনে খরচ ১১২ ডলার। বলা হচ্ছে, আগামীতে যে এই খরচ আরো বাড়বে এবং তারও পরে আরো বাড়তেই থাকবে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সূত্র: স্ট্যাটিস্টা রাশিয়ায় স্কুলে কাটাতে হয় সবচেয়ে কম সময়। বছরে কতক্ষণ থাকতে হয় স্কুলে গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৩টি উন্নত দেশের মধ্যে রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে কম সময় স্কুলে কাটাতে হয়। এক বছরে তারা স্কুলে থাকে ৫০০ ঘণ্টার মতো। (কিন্তু আন্তর্জাতিক গড় হচ্ছে ৮০০ ঘণ্টা।) তার মানে রাশিয়ায় একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো স্কুলে কাটাতে হয়। স্কুল খোলা থাকে আট মাস। কিন্তু তার ফলে লেখাপড়ায় যে রাশিয়া পিছিয়ে পড়ছে তা নয়। রাশিয়ায় সাক্ষরতার হার ১০০%। তারপরের অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে কাটাতে হয় বছরে ১,০০০ ঘণ্টা। অর্থাৎ রাশিয়ার শিক্ষার্থীদের তুলনায় তাদেরকে দু'মাস বেশি ক্লাস করতে হয়। ডেনমার্কে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন লম্বা সময় ধরে স্কুলে থাকতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা তাদের সদস্য দেশগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে যে জরিপ পরিচালনা করে থাকে তাতে দেখা যায় ডেনমার্কের অবস্থান তালিকার শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি দেশের ভেতরে। তার অর্থ কেউ কেউ এভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারেন যে বেশি সময় ধরে স্কুলে থাকলে তার একটা উপকারিতাও হয়তো থাকতে পারে। স্কুলে শিশু কতোক্ষণ থাকছে তার উপরেও কি লেখাপড়ার মান নির্ভর করছে? আরো পড়তে পারেন: কোন দেশে লেখাপড়ার খরচ সবচেয়ে বেশি? এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা কি আগের চাইতে তীব্রতর? সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস সস্তায় লেখাপড়ার কথা ভাবছেন? সন্তানকে কোন দেশে লেখাপড়া করাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করছে মোট খরচ কতো হতে পারে। দেশ ভেদে এই পার্থক্য এক লাখ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। স্কুলের বেতন, বইপত্র কেনা, স্কুলে যাওয়া আসার খরচ, থাকা খাওয়া - সব একসাথে যোগ করলে হংকং-এ প্রাথমিক স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত যতো খরচ হয় সেটা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ স্কুলে লেখাপড়ার জন্যে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হংকং। এবং অন্যান্য দেশের খরচের তুলনায় এটা খুব বেশি। হংকং-এ বৃত্তি, ঋণ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা এসব বাদ দিলেও একজন শিক্ষার্থীর পেছনে অভিভাবকদেরকে তাদের নিজেদের পকেট থেকে খরচ করতে হয় আরো এক লাখ ৩১ হাজার ১৬১ ডলার। তারপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানে অভিভাবকদের খরচ হয় ৯৯ হাজার ডলার। সিঙ্গাপুরে ৭১ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ বেড়েছে। দেশটিতে অভিভাবকরা গড়ে মোট খরচের ২৩% পরিশোধ করেন নিজেদের পকেট থেকে। কিন্তু ফ্রান্সে একটি পরিবারকে তাদের সন্তানের শিক্ষা জীবনের পেছনে খরচ করতে হয় ১৬ হাজার ডলার। সূত্র: এইচএসবিসি/স্যালি মে ধারণা করা হয় সারা বিশ্বে প্রতি বছর দেড় হাজার থেকে দু'হাজার পেন্সিল উৎপাদন করা হয়। পেন্সিলের পেছনে খরচ এখনকার সময় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, থ্রি ডি প্রিন্টিং এবং ড্রোনের যুগ হলেও সারা পৃথিবীতে সামান্য একটি পেন্সিলের পেছনে খরচ হয় প্রচুর অর্থ। ধারণা করা হয় পেন্সিল আবিষ্কার হয়েছিল ৪০০ বছর আগে। কিন্তু এখনও প্রতি বছর দেড় হাজার থেকে দু'হাজার কোটি পেন্সিল উৎপাদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পেন্সিল তৈরির জন্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সেডার গাছের কাঠ। এই গাছটি পাওয়া যায় উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় বনাঞ্চলে। আর যে গ্রাফাইট দিয়ে পেন্সিলের শীষ তৈরি হয় তার বেশিরভাগই আসে চীন ও শ্রীলঙ্কার খনি থেকে। এক হিসেবে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে এক বছরে পেন্সিলের চাহিদা মেটাতে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার গাছ কাটতে হয়। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট কতো লম্বা স্কুল জীবন জীবনের এক পর্যায়ে স্কুলের লেখাপড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড কিম্বা আইসল্যান্ডের মতো দেশে এই স্কুল জীবন প্রায় দুই দশকের মতো লম্বা। তবে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় স্কুলে লেখাপড়া করে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লাগে ২২ বছর ৯ মাস সময়। ছ'বছর বয়সে স্কুল শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ হয় ২৮ বছর বয়সে। আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি পড়ালেখা শেষ হয়ে যায় আফ্রিকার দেশ নিজেরে। সেখানে শিশুরা পড়া শুরু করে সাত বছর বয়সে। গড়ে তারা স্কুলে কাটায় পাঁচ বছর তিন মাস। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস 'চলো আমরা সিরিয়ায় ঢুকে বাশার আসাদকে মেরে ফেলি' এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা কি আগের চাইতে তীব্রতর?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের নতুন ক্লাস শুরু করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বব এবং নরমা একে অপরকে চিঠি লিখতেন চিঠিগুলোর প্রাপক এবং প্রেরক কেন্টে থাকা নরমা হল এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে দেশের বাইরে কাজ করা বব বিয়াসলে। কিম বলছিলেন আমার মা ২০ বছর আগে যখন আলদেরশটে থাকতেন তখন তার এক প্রতিবেশী তার চিলেকোঠার ঘরে এই চিঠিগুলো পান এবং ফেলে দিতে চান। 'আমার মা সেগুলো দেখতে পান এবং আবিষ্কার করেন সেগুলো প্রেমপত্র। মায়ের মন আর সেগুলো রাস্তার ময়লা ফেলার জায়গায় ফেলে দিতে সায় দিল না।'' " আমার মা -চেরি ভ্যালেন্স এক ঝলক দেখেই বুঝে গেলেন এটা কারও প্রেম পত্র। তাই তিনি চাননি সেগুলোর অযত্ন করতে" বলছিলেন কিম। চেরি যখন বাসা বদল করেন সমারসেটে তখন সেই চিঠিগুলো সঙ্গে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি ২০১৬ সালে মারা যান, চিঠির মালিক নরমা হল এবং বব বিয়াসলেকেও তার পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই বছর আবার যখন চিঠিগুলো কিমের দৃষ্টিগোচর হয় তখন তিনি ভাবলেন এই চিঠির মালিকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে, আর সেটা করতে হবে এখনিই যাতে দেরি হয়ে না যায়। তিনি বিবিসি কে বলছিলেন "আমি মাত্র দুটি চিঠি পড়েছি শুধু তথ্য নেয়ার জন্য। বাকিগুলো পড়িনি কারণ আমার মনে হয়েছে এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আরো পড়ুন: ভাসমান বোতলে পাওয়া গেলো শত বছরের পুরনো চিঠি মঙ্গলে একটি চিঠি পাঠাতে কতো খরচ পড়বে হাতে চিঠি লেখার অভ্যাস কি আর ফেরানো যাবে? চিঠিতে তারা লিখতেন তাদের জীবনে প্রতিদিন কি ঘটছে বব নিশ্চয় নরমাকে অনেক ভালোবাসতো। আর চিঠিগুলো সংরক্ষণ করতো নরমা"। কিম একটি চিটির খাম ফেসবুকে পোষ্ট করেন। আর বন্ধুদের উদ্দেশ্যে লেখেন "আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বব সেনাবাহিনীতে কাজ করতো আর নরমা কেন্ট এ থাকতো। পোষ্টমার্কে ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালের কথা উল্লেখ আছে। ফেসবুক দয়াকরে আপনাদের যা করার আছে সেটা করুন"। কিন্তু তার ধারণা ছিল না তার এই সাহায্যের আহ্বান ১১ হাজার বার শেয়ার, ১৫০০ প্রতিক্রিয়া হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একটা ঠিকানা এবং নতুন একদল এ যুগের 'পত্রবন্ধু' জুটে গেল। একজন বন্ধু ফেসবুকে লিখে জানালো , তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন এই দম্পতি ১৯৫১ সালে আক্সব্রিজে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ঐ ঠিকানায় একটা চিঠি পাঠালেন এবং আশা করলেন তিনি ঠিক পরিবারের কাছেই পাঠিয়েছেন। তিনি চাচ্ছিলেন এই চিঠির মালিকদের হাতে চিঠির বক্সখানা ফিরিয়ে দিতে। ১৯৪০ এর দশকে নরমা বিয়েসলি যখন ববের সাথে সাক্ষাত করেন তখন তিনি ছিলেন ১৮ বছরের এক নারী। তারা বন্ধু ছিলেন পরে তাদের সম্পর্ক এক দীর্ঘস্থায়ী রোমান্টিক সম্পর্কে গড়ায়। নরমার বয়স এখন ৮৮। তার কোন ধারণা ছিল না এই চিঠির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্দি বিনিময় চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ কেন ব্যর্থ হলো? আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী ইন্টারনেট থেকে কি বের হয়ে আসা সম্ভব? নরমার কাছে চিঠিগুলো এখন থাকলেও তিনি সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছেন সেগুলো আবার পড়ার। বব যখন সেনাবাহিনীতে ছিলেন তখন নরমা তার মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। নরমা যখন কিমের কাছ থেকে চিঠি পেলেন তখন অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে পরলেন। কারণ তার কয়েক মাস আগেই বব মারা গেছেন ২০১৮ এর ডিসেম্বরে। তিনি দ্রুত কিমকে উত্তর দিলেন চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেয়ার জন্য এবং অবাক হলেন যে সেগুলো এখনো সেই আগের জুতার বক্সের মধ্যেই আছে। নরমা বিবিসি কে বলেছেন বব মধ্যপ্রাচ্য এবং মিশর থেকে ফিরে আসার পরেই তারা বিয়ে করেন এবং ১৯৫১ সালে বাকিংহ্যামশায়ারে এক গ্রামে চলে যান। বব তখন কাঠ মিস্ত্রির কাজ করছিলেন আর নরমা একটা অফিসে কাজ শুরু করলেন। তাদের ৫ সন্তান এবং ৬জন নাতি-নাতনী রয়েছে। তিনি তাদের পুরনো দিনের কথা স্মরণ করছিলেন। "আমরা প্রথমে একে অপরকে লেখা শুরু করলাম শুধু বন্ধু হিসেবে। তারপর এটা বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হয়ে গেল।'' ''সে তার জীবন সম্পর্কে বলতো আর আমি বলতে আজ বাড়িতে কি হয়েছে। আমি মনে করি মিশরে তার জীবন আমার জীবনের চেয়ে বেশি মজার ছিল"। "আমি চিঠি লিখতে পছন্দ করতাম না কিন্তু প্রতি সপ্তাহে আমি তাকে একটা চিঠি লিখতাম এবং একটা ম্যাগাজিন পাঠাতাম"। যাইহোক যদিও তিনি চিঠিগুলো পেয়ে খুশি হয়েছেন কিন্তু যেহেতু বব আজ আর বেঁচে নেই তাই তিনি চিঠির খামগুলো খুলতেও আজ আর সাহস পাচ্ছেন না। "চিঠিগুলো আগের মতই রঙ্গিন কাগজে মোড়ানো আছে আমি যেমনটা করে পাঠাতাম। কিন্তু এখন আমি আর সেগুলো পড়তে পারবো না" বলছিলেন নরমা।
কিম রোয়ি তার চিলেকোঠার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পেলেন অনেকগুলো চিঠি, যেগুলো ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালের মাঝামাঝি লেখা হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঢাকার সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লঞ্চ ছেড়ে যায়। (ফাইল ছবি) ঢাকা নদী বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাতে করে কোন দুর্ঘটনার সুযোগ তৈরি না হয়। বন্দরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা কিছুক্ষণ আগে বিবিসি বাংলাকে বলেন, লঞ্চ চলাচল আবার কখন শুরু হবে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। "পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে এ মূহুর্তে। তাই আমরা আপাতত বন্ধ করেছি। বৃষ্টি বাতাস—আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ওপেন করবো," বলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: কার কী কৌশল? নেইমারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আমেরিকার ভিসার জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হলো পর্বত শিখরে ঊঠতে গিয়ে নিখোঁজ আট পর্বতারোহী আবহাওয়া পূর্বাভাস ওদিকে ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সকাল এগারোটা থেকে পরবর্তী বারো ঘণ্টা দেশের বেশ কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ কয়েকটি জেলাও রয়েছে যেসব এলাকায় ঢাকা থেকে প্রতিদিন একাধিক লঞ্চ যাতায়াত করে। ঈদের আগে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চযোগে বাড়ী ফেরার মানুষে উপচেপড়া ভিড় থাকে। (ফাইল ছবি) একই সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি অঞ্চলের নদী বন্দরের জন্য দুই নম্বর সংকেত জারি করেছে। বাংলাদেশে ঈদের আগে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চযোগে বাড়ী ফেরার মানুষে উপচেপড়া ভিড় থাকে। আজ সকাল থেকেও সেখানে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদে বাড়ী ফেরার ক্ষেত্রে বাড়তি ভোগান্তির শিকার হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সতর্কবার্তা
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষের ঈদ যাত্রার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল ঢাকার সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি রুটের লঞ্চ চলাচল।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। এরইমধ্যে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা এবং এটিএম বুথগুলোতে বিশেষ নোটিশের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৭শে অগাস্ট তাদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দিয়েছে। এটিএম এবং অনলাইন সেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড-ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক-ইউসিবিসহ আরো বেশ কিছু ব্যাংক। কী আছে সতর্কতা নোটিশে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিবিসিকে বলেন, সরকারের সাইবার সিকিউরিটির যে সংস্থাগুলো আছে, তারা এক চিঠিতে হ্যাকিংয়ের মতো একটা আশঙ্কার কথা বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করেছে। তাদের সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার কথা বলে দিয়েছে। "ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আমাদেরকে অবহিত করার পর আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে যদি মনে করি যে অন্য ব্যাংকগুলোকেও অবহিত করা দরকার তাহলে আমরা সেটা করে থাকি," মি. ইসলাম বলেন। তিনি বলেন, সতর্কতায় বলা হয়েছে যে, ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব ডিভাইসের কোন দুর্বলতার কারণে বা অন্য কোন কারণে যাতে হ্যাকের শিকার না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। এই সতর্কতা হঠাৎ করে আসেনি বলে জানান তিনি। মি. ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মাঝেই এ ধরণের সতর্ক বার্তা দিয়ে থাকে। আরো পড়ুন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং হলে গ্রাহক কী করবেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাট 'হ্যাকিং নয়, চুরি' এটিএম বুথ: কতভাবে হ্যাক হতে পারে? তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো এ ধরণের কোন অঘটন ঘটার কোন নিশ্চয়তা পায়নি বলে জানান মি. ইসলাম। এ বিষয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মি. শিরিন বলেন, নোটিশে বলা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া থেকে বিগলসবয়েজ নামে একটা গ্রুপ হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করছে। সেটা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে। "কী করতে হবে তা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক বলেনি। কিন্তু বলা হয়েছে যে সতর্ক থাকতে এবং সবগুলো সিকিউরিটি মেজারস যেন রাখা হয়।" নিরাপত্তা পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুতর হলো ক্রেডিট কার্ড ও সুইফট যেখানে ডলার লেনদেন হয়। এই দুটি মাধ্যম হ্যাক হলে হ্যাকারদের বাংলাদেশে আসার দরকার নেই। তারা বাইরের দেশে বসেই হ্যাক করতে পারবে। রাতে এটিএম সেবা এবং অনলাইন ব্যাংকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন? ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, প্রথমত, রাতের বেলা ট্রানজাকশন খুবই কম হয়। দ্বিতীয়ত, ওই সময়টাতে ব্যাংকের ফাস্ট ট্রাক বুথগুলোতে কোন কর্মকর্তা থাকে না। ফলে কেউ যদি নকল কার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করে কিংবা অস্বাভাবিক লেনদেন করতে যায় তাহলে তা রোধ করাটা কঠিন। যে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এটিএম ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম সেবা এবং অনলাইন ব্যাংকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলো যদি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তা খুবই সাময়িক সিদ্ধান্ত। "ব্যাংকের ডিভাইস বা সিস্টেমে কোন দুর্বলতা আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করতেও তো কয়েক দিন সময় লাগে। সেজন্য হয়তো এ ধরণের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। তবে এটা সাময়িক।" এর কারণে হাজার হাজার মানুষ ডেবিট কার্ড ব্যবহার কিংবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে। যার কারণে কোন ব্যাংকই এটাকে দীর্ঘমেয়াদি করতে চাইবে না বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টির উপর নজর রাখছে বলেও জানান মি. ইসলাম। এদিকে বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সাইবার হামলা যেকোন সময় হতে পারে। এজন্য সময় কমিয়ে দেয়ার জন্যই আসলে ওই সময়টাতে এটিএম ও অনলাইন ব্যাংকিং সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করতে চাননি। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতার পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ট্রানজাকশন অনুযায়ী মনিটরিং আরো বেশি করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাস্টমারদের কোন তথ্য বিনিময় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ই-মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। তার মতে, বেশিরভাগ হ্যাকিং তখন হয় যখন ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের সিস্টেমে অ্যাকটিভ থাকে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে রাতের ওই সময়টাতে এটিএম ও অনলাইন লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গ্রাহকরা কী করবেন? এটিএম বুথ এবং অনলাইন বন্ধ থাকার সময়ে কোন গ্রাহককে যদি জরুরী ভিত্তিতে এ ধরণের সেবা দরকার হয় তাহলেও সেটি সম্ভব বলে জানান ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যদি কারো হাসপাতাল বিল দেয়ার মতো জরুরী ভিত্তিতে অর্থের দরকার হয় তাহলে ওই গ্রাহক পজ মেশিনের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড দিয়ে অফলাইন লাইন মুডেও সরাসরি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তার এটিএম সেবার দরকার হবে না। এদিকে ব্যাংকগুলোর আইটি সেবা আরো উন্নত করার প্রয়োজন কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ব্যাংককেই বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার পূরণের নির্দেশনা দেয়া থাকে। আর তারা সেগুলো করেও। কিন্তু এর পাশাপাশি যদি কোন ব্যাংক মনে করে যে তারা নিজেদের উদ্যোগে কোন উন্নত ব্যবস্থা নিতে চায় সেটাও তারা করতে পারে। আর এ ধরণের সতর্কতা এর আগেও দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাইবার হ্যাকিং বা হামলার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সতর্কতা নোটিশ জারির পর বেশ কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের এটিএম এবং অনলাইন সেবা রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কাঠমান্ডুর রাস্তায় শিয়া বোউ কিন্তু তার পরও স্বপ্ন পূরণে পেছপা হননি তিনি। আজ (সোমবার) সকালে ৬৯ বছরের এই চীনা ২৯,০২৯ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করে এভারেস্টর চূড়ায় পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছেন। রেকর্ড গড়েছেন তিনি, কারণ এর আগে দুই পা নেই এমন কেউ নেপালের দিক থেকে এভারেস্টর চূড়ায় উঠতে পারেনি। ২০০৬ সালে দুই পা হারানো আরেক পর্বতারোহী - নিউজিল্যান্ডের মার্ক ইঙ্গলিস- এভারেস্টে উঠেছিলেন তিব্বতের দিক থেকে- যেটাকে অপেক্ষাকৃত সহজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে শিয়া বোউ এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। গত বছর নেপালের সরকার যখন দুই-পা কাটা এবং অন্ধদের জন্য এভারেস্টে ওঠা নিষিদ্ধ করে দেয়, চরম হতাশায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বছর মার্চ মাসে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের ঐ নিষেধাজ্ঞা বেআইনি ঘোষণা করলে, এপ্রিল মাসে তিনি পঞ্চম বারের মত এভারেস্ট অভিযান শুরু করেন। অভিযান শুরুর আগে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছিলেন, "এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা আমার স্বপ্ন। আমাকে এই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ, আমার দুর্ভাগ্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ।" শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে তিনি তার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হন। আরও পড়ুন: বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে ভারতে অন্তত ৪০জন নিহত বিদেশি সামরিক দূতরা কেন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন পঞ্চমবারের মত এভারেস্ট অভিযান শুরুর আগে কাঠমান্ডুতে শিয়া বোউ শিয়া বোউ ১৯৭৫ সালে তার প্রথম অভিযানে এভারেস্টর চূড়ার কাছাকাছি গিয়ে ফ্রস্ট-বাইটে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই অসুস্থতার জেরে পায়ে ক্যান্সার হওয়ায় ১৯৯৬ সালে হাঁটুর নীচ থেকে তার দুই পা কেটে ফেলতে হয়। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে তিনি আবার অভিযানের জন্য নেপালে আসেন, কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়া এবং দুর্ঘটনার জন্য নেপাল সরকার দুবারই পর্বতারোহণ বন্ধ রেখেছিলো। ২০১৬ সালেও মাত্র ২০০ মিটার ওঠার পর খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। এক বছর বাদে আবার তিনি আসেন এবং এভারেস্ট জয় করেন।
চল্লিশ বছর আগে এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে ফ্রস্ট বাইটে অর্থাৎ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়ে দুটো পা-ই হারাতে হয়েছিলো শিয়া বোউকে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জার্মানির বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির কৃত্রিম সূর্য এবার জার্মানির বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির কৃত্রিম সূর্য। কিন্তু কি কাজে লাগবে বিপুল পরিমাণে তাপ উৎপাদনকারী এই কৃত্রিম নক্ষত্র? আরো পড়ুন: 'প্রশ্নটা ঠিকমতো শুনতে পাননি কিরণ' ইম্যানুয়েল ম্যাক্রনের চেয়েও কমবয়সী কজন রাষ্ট্রনেতা যে পাঁচটি কারণে ফ্রান্সের নির্বাচনে বিজয়ী হলেন ম্যাক্রন সূর্যের উপস্থিতি প্রাণী জগতের জন্য অনেক জরুরী। কিন্তু সব দিন একইভাবে পৃথিবীতে সূর্য আলো ও তাপ ছড়ায় না। যে কারণে অনেক সময়ই বাধাগ্রস্ত হতে পারে মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড। যখন পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকে না, তখন সোলার প্যানেল বা সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনকাজ কিভাবে চলবে? যেহেতু সোলার প্যানেলের মূল খাবার আসে সূর্যের আলো থেকে, ফলে পৃথিবীর যেসব দেশে প্রায়ই সূর্যের দেখা মেলে না, তারা রীতিমত বিপদে পড়েন। সেই সংকটের জবাব খুঁজতে গিয়ে জার্মানির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কৃত্রিম এক সূর্য, যাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য। বিজ্ঞানীদের এই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. কাই উইগহার্ট, যিনি জার্মানির ইন্সটিটিউট অব সোলার রিসার্চ এর প্রধান। তিনি বলছেন, ''এই সূর্যের মাধ্যমে আমরা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কৃত্রিম আলো পাবো, যা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে পশ্চিম জার্মানির মত জায়গায়, যেখানে প্রতিদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না এবং আবহাওয়াও খুব একটা ভালো নয়।'' বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেখানে প্রতিদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না এবং আবহাওয়াও খুব একটা ভালো নয়, সেখানে এই সূর্যের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কৃত্রিম আলো পাওয়া যাবে কিন্তু কিভাবে কাজ করে এই কৃত্রিম সূর্য? ১৪৯টি ফিল্ম প্রজেকশন লাইট একত্রিত করে আলো প্রক্ষেপণ করা হয়। আর সেই সম্মিলিত আলো প্রতিদিন সূর্যের যে রশ্মি পৃথিবীতে আলো ছড়ায় তার তেকে দশ হাজার গুন বেশি শক্তিশালী। এই আলোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আগামী দিনের সোলার বা সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারছেন। ড. কাই এটিকে এখনো একটি নিরীক্ষা বলেই অভিহিত করছেন। তিনি বলছেন, ''এটা আমাদের প্রথম নিরীক্ষাগুলোর একটি, যেটি খুবই সাধারণ আর প্রথাগত। একে আপনি একটি সোলার হাইড্রোজেন রিঅ্যাক্টর বলতে পারেন। এই রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে সৌরশক্তি ব্যবহার করে আমরা পানিকে ভাগ করে ফেলার প্রক্রিয়া তৈরি করছি। এর ফলে আমরা শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পারব এবং সেটিকে সামনের দিনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নির্দিষ্ট কোন একটি দিকে আলো প্রক্ষেপণ করলে, সেটি কোন এলাকাকে প্রায় ৩০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করে তুলতে পারবে। যা যেকোনো জ্বলন প্রক্রিয়ার চেয়ে বেশি।'' বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেহেতু হাইড্রোজেন পুড়লে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় না, তাই ভবিষ্যতে হাইড্রোজেনকেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত হবে। বিজ্ঞানীদের বানানো এই কৃত্রিম সূর্যটির যে বিশাল এক যন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে, তার উচ্চতা তিনতলা একটি ভবনের সমান। সেখানে ১৪০ জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বলছে। এ প্রচণ্ড তাপমাত্রায় হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেই সোলার রেডিয়েশন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন তৈরি করা পদ্ধতি উদ্ভাবনা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম সূর্যের মাধ্যমে যে পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা সম্ভব, তা কেবল জ্বালানি হিসেবে নয়, ব্যবহার করা যাবে শিল্প খাতেও।
মানুষের প্রয়োজনে বিজ্ঞানীরা কত কিছুই না উদ্ভাবন করেছেন। উদ্ভাবনের তালিকায় কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে শুরু করে প্রাণীর ক্লোন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে। এছাড়া মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য রোবট থেকে শুরু করে কৃত্রিম মেঘ তৈরির কথাও শোনা গেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সুনিতা দেবী বলছেন ওই হামলার কথা তিনি ভুলতে পারছেন না। পুলিশও এই রহস্যের কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না, রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে তাদের। এই রহস্যেঘেরা 'চুল চোর' কে নিয়ে দুই রাজ্যের নারীদের মধ্যে যে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন বিবিসির বিকাশ পান্ডে। "হঠাৎ একদিন তীব্র আলোর ঝলকানি আমাকে অচেতন করে দেয়। এক ঘন্টা পর জেগে দেখি আমার চুল কেটে নেওয়া হয়েছে," বলেন সুনিতা দেবী। তাঁর বয়স ৫৩ বছর। হরিয়ানার গুরগাঁও জেলার ভিমগড় খেরির এই গৃহিনী শুক্রবারের ওই হামলার 'মানসিক আঘাত' ভুলতে পারছেন না। তিনি না পারছেন ঘুমাতে, কোনো কিছুতে মনোযোগও দিতে পারছেন না। সুনিতা দেবী যে এলাকায় থাকেন সেটি মূলত ব্যবসায়ী এবং কৃষক অধ্যুষিত এলাকা। তিনি অভিযোগ করেছেন, চুল কেটে নেওয়া বয়স্ক পুরুষ চোরের পরনে ছিল উজ্জ্বল রংয়ের কাপড়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিচতলায় একা ছিলেন সুনিতা; ছেলের বউ আর নাতি ছিলেন দোতলায়। অথচ কেউই কিছু শুনতে পায়নি। তারা যে গলিতে থাকেন সেখানে আরও প্রায় বিশটির মতো ঘর আছে। রাত নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়িতে লোক গমগম করে বলে জানান প্রতিবেশিরা, রাতের খাবারের পর সবাই কথা বলে বা বিশ্রাম করে। "শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু প্রতিবেশিদের কেউই সুনিতা দেবীর বাসায় কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেখেনি" বলেন মুনেশ দেবী। ফলে, রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পরদিন একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মুনেশ দেবী বলেন- 'চুল চোর'কে নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুনিতা দেবীর বাসার কয়েক গজ দূরে থাকেন গৃহকর্মী আশা দেবী; তিনিও রাতের আঁধারে তাঁর চুল হারান। কিন্তু এবারের হামলাকারী পুরুষ নন, একজন নারী। আশা দেবীর শ্বশুর জানান, হামলার পরদিনই ছেলের বউসহ বাড়ির সব নারীকে উত্তর প্রদেশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চুল কেটে নিয়ে যাওয়া এই 'ভুতুরে নাপিত' প্রথম দেখা যায় রাজস্থানে, জুলাই মাসে। এরপর থেকে হরিয়ানা এমনকি রাজধানী দিল্লিতেও এই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে 'চুল চোর' কে নিয়ে নানা ধরনের গল্প চালু করে দিয়েছেন অনেকে। কারো মতে, সংঘবদ্ধ কোনো চক্র এমন হামলার সঙ্গে জড়িত। আবার কারও মতে, তান্ত্রিক বা ডাইনিরা বেছে বেছে নারীদের চুল কাটছেন। কারও বিশ্বাস, এসব ঘটনায় জড়িয়ে আছে 'অতিপ্রাকৃত শক্তি'। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: দিল্লিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৬০ বছর বয়সী সুন্দার দেবীর ওপর 'চুল চোর' আক্রমণ চালায় শনিবার রাতে। অনেকে আবার বলছেন, নারীরা গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নিজেরাই নিজেদের চুল কাটছেন। যুক্তিবিদ সানাল এদামারুকুর মতে এটি হচ্ছে 'গণ-হিস্টিরিয়া'র চমৎকার উদাহরণ। তবে যে যাই বলুক না কেন রাজস্থানের একের পর এক গ্রামের নারীরা চুল চুরি নিয়ে বেশ আতঙ্কেই আছেন। গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র রাভিন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তারা এসব ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,"এগুলো সব অদ্ভুত ঘটনা। ঘটনাস্থলে কোনো আলামত পাইনি, হামলার শিকারদের মেডিকেল রিপোর্টেও কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি; অন্য কেউ হামলাকারীকে দেখেওনি।" বিভিন্ন জেলার পুলিশ সম্মিলিতভাবে এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানান মি: রাভিন্দ্র। জনসাধারণকে এ বিষয়ক গুজবে কান না দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দিল্লির অনেক নারী চুল রক্ষা করার জন্য খোঁপায় দেবিখচিত ব্যান্ড ব্যবহার করেন।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হরিয়ানা ও রাজস্থানে পঞ্চাশেরও বেশি নারী অচেতন অবস্থায় তাদের চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের একটি খামারে মুরগি লালন-পালন করছেন একজন খামারী একই সঙ্গে অবৈধভাবে চোরাপথেও এসব প্রাণী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্কতা করে চিঠি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "সতর্কতা হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যদিও বাংলাদেশে এখনও কোন জেলায় বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ দেখা যায়নি।" সপ্তাহ কয়েক আগে ভারতে বার্ড ফ্লু দেখা যায়। বৃহস্পতিবারে পাওয়া সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে যে দেশটির অন্তত ১০টি রাজ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এরই মধ্যে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ভারতের কিছু রাজ্যে এ কারণে পোল্ট্রি খামারে হাঁস-মুরগি নিধন শুরু করেছে - এরই মধ্যে হাজার হাজার হাঁস-মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। "সে প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে," মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মি. মাহমুদ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বিবিসিকে বলছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পর্যন্ত হাঁস, মুরগি ও পাখি আমদানির উপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে বলবৎ থাকবে। আরো পড়তে পারেন: 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি ব্রয়লার মুরগি এতটা দ্রুত বেড়ে উঠছে কেন? খাদ্য তালিকায় যেভাবে জায়গা করে নিলো বিদেশি মুরগি সীমান্তে চোরাইপথে ভারত থেকে হাঁস, মুরগি, ডিম, মুরগির বাচ্চা এবং পাখিজাতীয় প্রাণি অনেক সময় পাচার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দেয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক আগাম প্রস্তুতি নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সচিব জানিয়েছেন, তাদের দপ্তর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কোন জায়গা থেকে এখনও বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোন খবর পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেন হাঁস-মুরগির ছোটখাট অসুস্থতার খবর পাওয়া গেলে সাথে সাথে সেগুলোর পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি খামারগুলোকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুরগির বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদেশি জাতের মুরগির দখলে। আর ডিমের বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে বিদেশি জাতের মুরগি পালনকারী ফার্মগুলো থেকে। বাংলাদেশে সব মিলিয়ে মুরগির খামারির সংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি।
ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্কতা হিসেবে দেশটি থেকে মুরগি, মুরগির বাচ্চা ও ডিম, হাঁস এবং পাখি জাতীয় প্রাণির আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিন ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট চিহ্নিত হওয়ার পরই ভারতে মুসলিম বিদ্বেেষর ঝড় ওঠে এমন কী, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরাও কোনও কোনও ভারতীয়র মুসলিম-বিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। এই পটভূমিতে ভারতকে কূটনৈতিক স্তরে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নামতে হয়েছে – পাশাপাশি ভারতে মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকরাও দাবি করছেন মুসলিমদের জন্য ভারতের চেয়ে ভাল দেশ আর হতে পারে না। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করে, পাকিস্তানের প্রতিবাদে তারা কর্ণপাত করেনি। সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানও ভারতে এসে নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর 'বড় ভাই' বলে সম্বোধন করে গেছেন। সার্বিকভাবে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিক ঘনিষ্ঠতা যে ক্রমবর্ধমান, সেটাও কোনও নতুন খবর নয়। তবে চলমান করোনাভাইরাস সঙ্কটের সময় সেই ঘনিষ্ঠতাতেই কিন্তু ফাটলের আভাস দেখা যাচ্ছে। প্রিন্সেস হেন্দ আল কাসিমি ভিআইপিদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুহাম্মাদ হুসেইন সিদ্দিকি: ভারতে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? আমিরাতের এক রাজকুমারী হেন্দ আল কাসিমি কদিন আগে সে দেশে কর্মরত এক ভারতীয় হিন্দুর বেশ কিছু আপত্তিকর ও মুসলিম-বিরোধী টুইটের স্ক্রিনশট দিয়ে তাঁকে হুঁশিয়ারি দেন, "যে দেশে রুটিরুজি কামাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ালে সেটা কিন্তু উপেক্ষা করা হবে না!" পরে এ সপ্তাহে এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ওই ব্যক্তি যেভাবে ইসলামকে নিয়ে বিদ্রূপ করেছে এবং ১৪০০ বছরের প্রাচীন এক ধর্মকে গাধাদের ধর্ম বলে গালি দিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।" "হ্যাঁ, আমিরাতকে গড়ে তোলার পেছনে ভারতীয়দের অবদানকে আমরা সম্মান করি, তাদেরকে পরিবারের অংশ বলে মনে করি – ফলে আমি লজ্জিত যে একজন ভারতীয় এমন কথা বলতেও পারেন।" এরপর সৌদি আরবের প্রভাবশালী ইসলামী বিদ্বজ্জন শেখ আবিদি জাহারানিও টুইট করেন, মধ্যপ্রাচ্য ও গাল্ফে কর্মরত যে উগ্রবাদী ভারতীয়রা ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তাদের অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানো দরকার। ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসি-র মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও ১৯ এপ্রিল টুইট করা হয়, কোভিড-১৯ ছড়ানোর জন্য ভারতে যেভাবে মুসলিমদের ঢালাওভাবে দায়ী করা হচ্ছে এবং মিডিয়াতে তাদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে তা চরম নিন্দনীয়। ইসলামী বিশ্বের দিক থেকে এই লাগাতার আক্রমণের মুখে ভারতকেও এখন আত্মপক্ষ সমর্থনে নামতে হয়েছে। ভারতে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান ঘায়োরুল হাসান রিজভি ভারতে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান ঘায়োরুল হাসান রিজভি বিবৃতি দিয়ে বলেন, "ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুসলিম থাকেন যে দেশে – সেই ভারতে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ।" "এখানে তারা নামাজ-রোজা থেকে শুরু করে সব ধর্মীয় আচার নির্বিঘ্নে করতে পারেন, যা সিরিয়া-ইরাক-আফগানিস্তানেও ভাবা যায় না।" "আমি তো বলব, হিন্দুস্তান মুসলমানদের জন্য এক 'জন্নত' বা স্বর্গ।" ভারতের ক্যাবিনেট মন্ত্রী মুখতার আব্বস নাকভিও ঠিক একই সুরে বক্তব্য দেন। আর ওদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর সে দেশে থাকা ভারতীয়দের মনে করিয়ে দেন, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা ভারতের নৈতিকতা ও আইনের পরিপন্থী। সেই সঙ্গে কোবিড-১৯ কোনও জাতি-বর্ণ-ধর্ম দেখে আঘাত হানে না, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্যও রিটুইট করেন তিনি। তবে ভারতের সিনিয়র জার্নালিস্ট রাহুল সিং মনে করছেন, ইসলামী দেশগুলোর ওই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানোর আসলে সঙ্গত কারণ আছে। রাহুল সিং বিবিসিকে বলছিলেন, "যখন এতগুলো মুসলিম দেশ ভারতের মুসলিমদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাতে আমাদের সত্যিই বিচলিত হওয়া দরকার।" "আর এটা তো শুধু করোনাভাইরাস নিয়েই নয়, এই পরিবেশটা ধীর ধীরে গড়ে উঠেছে – তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিফ নিয়ে যাচ্ছে সন্দেহে রাস্তায় আটকানো হয়েছে।" "এই ঘটনাগুলো তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না", বলছিলেন মি সিং। ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে যে ইসলামোফোবিয়ার ঝড় শুরু হয়েছিল, উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের অনেক বন্ধু দেশও তা ভাল চোখে দেখেনি - এটা পরিষ্কার। এখন ভারতের ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় কতটা কাজ হয় – না কি এর জেরে দুপক্ষের সম্পর্কে কোনও ফাটল ধরে, দেখার বিষয় সেটাই।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে ভারতে মুসলিমদের অন্যায়ভাবে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলে অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি প্রকাশ্য অভিযোগ এনেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে , কিম জং-উন যদি এই পরিকল্পনা পাশ করেন তাহলে হুয়াসং-১২ রকেট জাপানের ওপর দিয়ে গুয়াম থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৭ মাইল) দূরে সাগরে গিয়ে পড়বে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রকে আবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে। তারপরই বুধবার উত্তর কোরিয়া জানায়, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। এরপর থেকে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার অনবরত এমন হুমকির আবারো পাল্টা জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, উত্তর কোরিয়ার এমন যেকোনো পদক্ষেপ হবে তাদের নিজেদের 'শাসনক্ষমতা শেষ হতে দেখা'। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং যদি কোনো যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় তাহলে দেশটির ওপর 'সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে'। গুয়াম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রুপার্ট উইংফিল্ড হায়েস জানাচ্ছেন, উত্তর কোরিয়ার এমন হুঁশিয়ারিকে 'বাগাড়ম্বরপূর্ণ' মনে করছেন অনেকে। কারণ সেখানকার অনেক মানুষ মনে করেন যদি সত্যিই এমন ধরনের হামলা করে উত্তর কোরিয়া তাহলে সেটি হবে আত্মঘাতী একটি কাজ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা' ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি'
উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামের কাছাকাছি এলাকায় তারা চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে প্রস্তুত।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর মাসে সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা বদরুল আলম। এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু এটা বাংলাদেশে একেবারে নতুন কোন ঘটনা তো না। আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই পুরুষকে শক্তিশালী আর নারীকে দুর্বল হিসাবে দেখা হয়। এটা স্বল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত, সব শ্রেণির মধ্যেই দেখা যায়। সমাজ ব্যবস্থা বা পরিবারের কারণে অনেকেই এমন মানসিকতায় বড় হয় যে, নারীরা দুর্বল, তাদের উপর অত্যাচার করা যায়। এমন অত্যাচার সমাজেও যেন গৃহীত হয়ে আসছে। যেহেতু আইনের শাসন শক্তিশালীভাবে প্রয়োগ হয় না, এ ধরণের অপরাধে দায়ীদের শাস্তি হয় না, তাই ধারাবাহিকভাবে এটি চলে আসছে। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে বেশিরভাগ সময় ভুক্তভোগীরা সুবিচার পান না। আবার অনেক সময় শাস্তি দেয়া হলেও, সেটা নামমাত্র, যেন টোকেন হিসাবে একটি শাস্তি দেয়া হয়। ফলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেও তাদের মধ্যে এ ধরনের কাজ করতে ভয় হয় না। আসলে মূল্যবোধের ক্ষেত্রে একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দূরত্ব রয়েছে। নারীদের প্রতি মূল্যবোধের অভাবের যে পরিবেশ থেকে সে বড় হয়, সেই কারণেই কিন্তু এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। হামলার পর খাদিজাকে ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নিতে হয় একটি পরিবারে মেয়েদের সাথে কিরকম ব্যবহার করা হচ্ছে, আচার আচরণ সে পরিবার থেকেই শেখে। আবার আমাদের যে পাঠ্যপুস্তকগুলো রয়েছে, সেখানেও মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বা সামাজিক মূল্যবোধগুলো সেভাবে শেখানো হয় না। কিছুদিন আগেই একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ নারী কোন না কোন সহিংসতার শিকার হয়। এদের ৭২ শতাংশই সেটি প্রকাশ করে না। অনেক সময় সেটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। হয়তো এসব বলার সেই সংস্কৃতি বা অভ্যাস নেই। তাই এটা অব্যাহতভাবে চলছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বলতা বা মূল্যবোধের অভাবের কারণেই আসলে এ ধরণের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে পরিবার থেকে যে দুর্বলতা বা মূল্যবোধ ধারণ করে বড় হয়, সেটা সবসময়েই রয়ে যায়। এবং সেজন্যই একজন অত্যাচারী, ধনী বা গরীব, সমাজের যে কোনো স্তর থেকেই আসতে পারে।
বাংলাদেশে খাদিজা বেগম হত্যা চেষ্টার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্টের মাধ্যমে সংক্রমনের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছ না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, করোনাভাইরাস টেস্টের মান যদি উন্নত না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেকায়দায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ রয়েছে। এছাড়া এমন ঘটনাও ঘটেছে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টেস্টের ফল নেগেটিভ হলেও বিদেশে যাওয়ার পর সেই ফল পজিটিভ হয়েছে। এসব নানা ঘটনার কারণে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস টেস্টের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বিমান চলাচলের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ যোগ হয়েছে ইতালি। বাংলাদেশ বিমানের সেই ফ্লাইটে ২২৫ জন যাত্রীর মধ্যে ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ বিষয়টিকে ভাইরাল বোমা নিষ্ক্রিয় করার সাথে তুলনা করেছেন ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা। এর আগে বাংলাদেশ থেকে জাপানে চার্টার্ড ফ্লাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থেকে জাপানে যাওয়া একটি ফ্লাইটে চারজন যাত্রী কোভিড১৯ পজিটিভ হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ থেকে জাপানে রওনা দেবার আগে তাদের কাছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছিল। ঢাকা থেকে চীনের গুয়াংজু যাতায়াতকারী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সাসপেন্ড করা হয়েছে জুন মাসের ২২ তারিখে। চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে গুয়াংজু যাবার পর ১৭ জন যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েকটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। যেসব দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি হচ্ছে তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। মে মাসের ২৭ তারিখ থেকে জুনের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে গিয়েছিল। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য কী অপেক্ষা করছে? সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলো বিমান চলাচল খুলে দিলেও বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই। অবশ্য রাশিয়া এবং আমেরিকাও এই তালিকায় নেই, তবে তা মূলত উচ্চ সংক্রমণের কারণে। সিঙ্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক পীযুষ সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, টেস্টের মান রক্ষা করা বেশ জরুরি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একবার বিশ্বাস হারিয়ে গেলে সেটি ফিরে পাওয়া বেশ কঠিন। সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সেবা দিতে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটি একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। সে টিমের সদস্য ডা. পীযুষ সরকার। তিনি বলেন, এখানে দুটো বিষয় জড়িত আছে। একটি হচ্ছে, টেস্ট নিয়ে প্রতারণা। অর্থাৎ টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়া পুরোপুরি প্রতারণা। আরেকটি হচ্ছে, টেস্টের মান রক্ষা করা। টেস্টের মান ভালো না হলে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব নয়। ফলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। চিকিৎসক পীযুষ সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর নানা দেশ বিদেশীদের আগমনের ক্ষেত্রে এখন বেশ সতর্ক। টেস্টের ক্ষেত্রে উচ্চমান বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশকে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর ব্যতিক্রম হলে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। "এটা অবধারিত যে সবাই আপনাকে ব্যান করে দেবে। কোন দেশ তো খাল কেটে কুমির আনবে না," বলেন চিকিৎসক পীযুষ সরকার। টেস্টের ক্ষেত্রে প্রতারণা এবং মান নিয়ে সংশয় আছে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের। শুরুতে ১০টি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বে-নজির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, পজিটিভ ব্যক্তিকে যদি নেগেটিভ দেখানো হয়, তাহলে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে উঠবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ধীরে-ধীরে ভ্রমণের জন্য খুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশে টেস্ট নিয়ে যদি প্রতারণা হয় এবং টেস্টের মান বৃদ্ধি না করা হয়, তাহলে কি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা তৈরি হবে? এমন প্রশ্নে মি: আহমেদ বলেন, "অবশ্যই আশংকা তৈরি হচ্ছে। ইতালি খুব স্ট্রং একটা কমেন্ট করেছে। মনে হচ্ছে, বিমানটা করোনার বোমা নিয়ে এসেছে। এ রকম একটা কমেন্ট। এটা তো ইন্টারন্যাশনালি প্রচার হবে। " "আপনি জানেন, বাংলাদেশে যত এম্বেসি আছে, যতো বিদেশী নাগরিক ছিলেন, তারা কিন্তু ধীরে-ধীরে সবাই চলে গিয়েছেন। এটা হলো আগে থেকেই কিছুটা আস্থার সংকট ছিল।" মি: আহমেদ বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিদেশ থেকে যাদের বাংলাদেশে আসা দরকার, তাদের অনেকেই আসার জন্য ভরসা পাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দেখাতে হবে যে স্বাস্থ্যখাতে এখানে বড় ধরণের সংস্কার হয়েছে। "কোন দেশে কী ঘটে সেটা কারো কাছে অজানা নয়," বলেন মি. আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, টেস্ট নিয়ে প্রতারণা বন্ধ এবং টেস্টের মান নিশ্চিত করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। টেস্ট নিয়ে প্রতারণা বন্ধ করার জন্যই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জিকেজি নামের আরো একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। কর্মকর্তা বলছেন, কোন একজন ব্যক্তি বিদেশে যাবার তিন-চারদিন আগে যদি টেস্ট করান তাহলে বিদেশে পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি সংক্রমিত হতে পারেন। কারণ একজন ব্যক্তি যে কোন সময় সংক্রমিত হতে পারেন। এমনকি বিদেশে যাবার সময় বিমানে সংক্রমণ হতে পারে বলে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করছেন। সেক্ষেত্রে টেস্টের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে তারা মনে করেন।
করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে প্রতারণা এবং টেস্টের মান নিয়ে উদ্বেগ থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নির্ধারিত সময়ের ছয় ঘণ্টা পর রায়ানএয়ারের বিমানটি লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে অবতরণ করে ব্রাসেলসে একটি বৈঠকে ইইউর ২৭টি সদস্য দেশের নেতারা ইইউ-র এয়ারলাইন্সগুলোরও বেলারুশের আকাশ বর্জনের কথা বলেছেন এবং এর বাইরেও অন্যান্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গ্রিস থেকে লিথুয়ানিয়াগামী রায়ানএয়ারের একটি বিমানে ছিলেন বেলারুশের সাংবাদিক এবং আন্দোলনকর্মী রোমান প্রোতাসেভিচ। বোমা হামলার হুমকি দিয়ে বিমানটিকে তার গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলো বেলারুশের বিরুদ্ধে রায়ানএয়ারের বিমানটি 'ছিনতাই'-এর অভিযোগ করেছে। আরও পড়ুন: বেলারুশ কর্তৃপক্ষ সোমবার মি. প্রোতাসেভিচের যে ভিডিও প্রকাশ করেছে তা দেখে মনে হচ্ছে সেটি মিনস্ক বিমানবন্দরে আটক করার পর তাকে চাপ দিয়ে রেকর্ড করা হয়েছে। ওই রেকর্ডিংএ সাংবাদিক মি. প্রোতাসেভিচ বলেছেন তিনি সুস্থ আছেন এবং বেলারুশ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছে তিনি সেই অপরাধ স্বীকার করেছেন। তবে দেশটির প্রধান বিরোধী নেতাসহ অন্যান্য আন্দোলনকারীরা এই ভিডিওর সমালোচনা করেছে এবং বলেছেন মি. প্রোতাসেভিচকে চাপ দিয়ে এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেলারুশ কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে "জঘন্য" বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, "এটা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক ভিন্ন মতের প্রতি নির্লজ্জ আক্রমণ"। মি. প্রোতাসেভিচের বাবা দিমিত্রি প্রোতাসেভিচ বিবিসিকে বলেছেন তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়ে থাকতে পারে বলে তার আশঙ্কা। তিনি বলেছেন তার ছেলেকে বেলারুশে আটকে রেখে টেলিভিশনে এই স্বীকারোক্তি দিতে স্পষ্টতই বাধ্য করা হয়েছে। তার শরীরে মারধরের চিহ্ণ রয়েছে। দিমিত্রি প্রোতাসেভিচ বিবিসিকে বলেছেন তার ছেলের শরীরে আঘাত দেখা যাচ্ছে এবং তার নাক ভাঙা দেখাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন তার ছেলের কথা এবং কথার ভঙ্গি অস্বাভাবিক শোনাচ্ছে। ফিল্ম করা বিবৃতিতে সাংবাদিক স্বীকার করেছেন গত বছর প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তিনি উস্কানি দিয়েছিলেন এবং বলেছেন তার সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকের প্রেমিকা সোফিয়া সাপেগা গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়া ওই বিমানযাত্রায় রোমান প্রোতাসেভিচের সাথেই ছিলেন। তাকেও বেলারুশে আটক রাখা হয়েছে। সোমবার দিমিত্রি প্রোতাসেভিচ বলেন তার ছেলের সাথে বেলারুশে কী ধরনের আচরণ করা হবে তা নিয়ে তিনি "সত্যিই ভীত।" "আশা করি সে সামলাতে পারবে। আমরা চিন্তা করেও শঙ্কিত হচ্ছি। তাকে মারধর এবং অত্যাচার করা খুবই সম্ভব। আমরা খুব ভয় পাচ্ছি, আমরা খুব ভেঙে পড়েছি," তিনি এক ভিডিও কলে বলেন। "ইউরোপের বুকে একবিংশ শতাব্দীতে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে না।" আরও পড়তে পারেন: সোমবার বেলারুশ কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে রোমান প্রোতাসেভিচকে দেখা যাচ্ছে তিনি অপরাধ স্বীকার করে বিবৃতি দিচ্ছেন ''আমরা আশা করছি ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেলারুশ কর্তৃপক্ষের ওপর নজিরবিহীন চাপ প্রয়োগ করবে। আশা করব সেই চাপ কাজ করবে এবং তারা বুঝতে পারবে যে তারা আসলেই একটা বিশাল ভুল করেছে," বলেন দিমিত্রি প্রোতাসেভিচ। ফ্লাইটের উড়ান বদল ইউরোপের প্রধান বিমান সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই বেলারুশের আকাশসীমার ভেতর তাদের বিমান চালানো বন্ধ করতে শুরু করেছে। তারা তাদের ফ্লাইটের রুট ইতোমধ্যেই বদলে দিয়েছে। ব্রিটেন বেলারুশের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বেলাভিয়ার যুক্তরাজ্যে বিমান চলাচলের পারমিট স্থগিত করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সদস্যদেশগুলোকে একই ধরনের পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানিয়েছে। পোল্যান্ড ঘোষণা করেছে তাদের জাতীয় এয়ারলাইন্স এলওটির কোন বিমান বেলারুশের আকাশে চলাচল করবে না। ইউক্রেনও ঘোষণা করেছে আগামীকাল মধ্যরাত থেকে বেলারুশের সাথে তাদের সব বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। এথেন্স থেকে ভিলনিয়াসগামী ফ্লাইটটির গতিপথ বোমা হামলার হুমকির কারণে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে জানায় বেলারুশ কর্তৃপক্ষ রোমান প্রোতাসেভিচ কে? মি. প্রোতাসেভিচ নেকস্টা নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের সাবেক সম্পাদক। নেকস্টার একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল আছে। তিনি ২০১৯ সালে বেলারুশ ছেড়ে চলে যান এবং লিথুয়ানিয়ায় নির্বাসনে থাকছিলেন। সেখান থেকে তিনি বেলারুশের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশ করতেন। এর পর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং দাঙ্গায় উস্কানি দেবার অভিযোগ আনা হয়। নির্বাচনের সময় নেকস্টা বেলারুশে সরকার-বিরোধী পক্ষের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনে মি. লুকাশেঙ্কো বিজয়ী হন, যদিও ব্যাপকভাবে অভিযোগ আনা হয় ওই নির্বাচনে তিনি কারচুপি করেছেন। নেকস্টা পরবর্তীতেও এই অভিযোগ অব্যাহতভাবে প্রচার করে, বিশেষ করে বেলারুশ সরকারের সংবাদ প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ জারির পর। মি. প্রোতাসেভিচ বর্তমানে আরেকটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের জন্য কাজ করেন যার নাম বেলামোভা। গত বছর জুন মাসে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ বেলামোভার ব্লগার ইগর লসিককে গ্রেপ্তার করার পর রোমান প্রোতাসেভিচ তার জায়গায় লেখার দায়িত্ব নেন। আরও পড়ুন: বেলারুশ সম্পর্কে তথ্য বেলারুশ কোথায়? বেলারুশের পূবে রয়েছে তার মিত্র দেশ রাশিয়া আর দক্ষিণে ইউক্রেন। উত্তর ও পশ্চিমে ইইউ এবং নেটোর সদস্য তিনটি দেশ লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া আর পোল্যান্ড। কেন গুরুত্বপূর্ণ? ইউক্রেনের মতই বেলারুশের ৯৫ লাখ মানুষ পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে বৈরিতার জাঁতাকলের শিকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার লুকাশেঙ্কোকে বর্ণনা করা হয় "ইউরোপের সবশেষ স্বৈরশাসক" বলে এবং তিনি ক্ষমতায় আছেন ২৭ বছর। সেখানে কী ঘটছে? দেশটিতে নতুন, গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বড় ধরনের সরকার-বিরোধী আন্দোলন চলছে। বিরোধী আন্দোলনকারী এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সরকাররা বলছে মি. লুকাশেঙ্কো গত বছর ৯ই অগাস্টের নির্বাচনে কারচুপি করেছেন। সরকারিভাবে তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হন। এরপর পুলিশ কঠোর হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ দমন করে এবং বিরোধী নেতাদের হয় জেলে নয় নির্বাসনে পাঠায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপের আকাশে বেলারুশিয়ান এয়ারলাইন্স-এর বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বেলারুশের ভিন্নমতাবলম্বী একজন সাংবাদিককে বহনকারী একটি বিমানকে হুমকির কথা বলে তার গতিপথ বদলে মিনস্কের বিমানবন্দরে রবিবার অবতরণ করতে বাধ্য করেছিল বেলারুশ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে চমৎকার ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়? সুতরাং প্রশ্ন হলো, কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে চমৎকার ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়? এটা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। ঘুমোতে যাবার কিছু নিয়ম-কানুন আছে যা সবাই শিখে নিতে পারে। এখানে তেমনটি পাঁচটি টিপস দেয়া হলো, যা ভালো ঘুমের কিছু পরীক্ষিত কৌশল। ১. প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন: আপনি কি সত্যি সত্যিই ক্লান্ত? অনিদ্রার সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের অনেক সময়ই প্যাঁচার সাথে তুলনা করা হয় আপনি ভাবতে পারেন : এ আবার কেমন প্রশ্ন? আমি যে ক্লান্ত সেটা কি আমি নিজে বুঝবো না? আসলে কথাটা হলো, আপনি যদি সত্যি বিছানায় যাবার জন্য তৈরি হন - তাহলে সহজেই ঘুম এসে যায়। তবে একজনের কাছে যা 'স্বাভাবিক' ঘুমানোর সময় - অন্য কেউ কেউ সে সময়টায় ঘুমাতে পারেন না। যদি আপনার এ সমস্যা থাকে - তাহলে দিনের বেলা যত বেশি সম্ভব সময় প্রাকৃতিক আলোর মধ্যে কাটাতে চেষ্টা করুন, এবং সেটা শুরু করুন ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে এর ফলে রাত-জাগা লোকদের 'দেহ-ঘড়ি'কে আগেভাগে ঘুমানোর জন্য তৈরি করা যায়। দিনের বেলা যথেষ্ট ব্যায়াম ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিছানায় যাবার আগের চার ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম না করলেই ভালো। কারণ এর ফলে শরীরে যে এ্যাড্রিনালিন নি:সৃত হয় - তা হয়তো আপনাকে ঘুমোতে দেবে না। আপনি যদি ছোট্ট শিশু না হন এবং আপনার কম ঘুম হয় - এমন সমস্যা থাকে, তাহলে দিনের বেলা - বিশেষ করে বিকেল ৪টার পর - না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার রাতে ঘুম হবার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। ২. আপনি কি খাচ্ছেন বা পান করছেন সেদিকে নজর দিন ঘুমানোর আগে গুরুপাক, চিনিযুক্ত খাবার বা মদ্যপান করবেন না। প্রকৃতপক্ষে ভালো ঘুমের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিছানায় যাবার সময়ের অনেক আগে। তাই ঘুমাতে যাবার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই ক্যাফেইন আছে এমন কোন পানীয় পান করা বন্ধ করে দিন। ক্যাফেইন এমন এক জিনিস যা আপনার শরীরে থাকে অন্তত ৯ ঘণ্টা। কাজেই ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো 'ফিজি ড্রিংকস' পান বাদ দেবার কথা ভাবুন। অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে একেবারে ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলেও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। যদি পারেন তাহলে ঘুমের সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এবং তাতে ভারী গুরুপাক খাবার বা চিনি-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে জেগে ওঠার সমস্যা কেটে যাবে। এ্যালকোহল বা মদ্যপান আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করতে পারে - কিন্তু আপনার সেই ঘুম খুব গভীর হবে না। যাকে বলে 'র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট' বা 'আরইএম স্লিপ' - তা মানুষের স্মৃতি ও শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অগভীর ঘুমে তার ক্ষতি হয়। তা ছাড়া মদ্যপানের ফলে শরীরে বেশি প্রস্রাব তৈরি হয়, তাই রাতে টয়লেটের জন্য ঘুম ভেঙে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৩. ঘুমেরআগে রিল্যাক্স করার জন্য কিছু করুন নিয়ম মেনে চললে অনিদ্রার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় বিছানায় যাবার আগে এমন একটা কিছু করুন যা আপনার দেহ ও মনকে চাপমুক্ত করবে। এটা আপনাকে প্রতিদিনই করতে হবে, যাতে এটা করলেই আপনার শরীর এবং মন্তিষ্ক বুঝে যায় যে ঘুমাোর সময় হয়েছে। এটা যে কোন কিছু হতে পারে। যেমন হালকা গরম পানিতে স্নান, মেডিটেশন বা ধ্যান করা, আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলা, ডায়েরি লেখা, বই পড়া, বা আলো কমিয়ে দিয়ে গান শোনা। কেমন সঙ্গীত ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? ২০১৫ সালে ম্যাক্স রিখটার নামে একজন কম্পোজার নানা গবেষণার পর ৮ ঘণ্টার সঙ্গীত রচনা করেছেন শুধু ঘুমের জন্য। সে যাই হোক, আপনি ঘুমানোর জন্য যে সঙ্গীদই শুনুন না কেন -আসল শর্ত হলো সেটা শুনে আপনার যেন মনের সব চাপ দূর হয়ে গিয়ে একটা শিথিল ভাব আসে। ৪. ঘুমের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক ভুলে যাবেন না ঘুমের জন্য ঘরে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাটা গুরুত্বপূর্ণ এর অর্থ এই নয় যে ঘুমের আগে আপনাকে স্নান করতে হবে বা দাঁত মাজতে হবে - যদিও এগুলো বেশ উপকারী। আসল কথা হচ্ছে, ঘুমের জন্য আদর্শ পটভূমি তৈরি করা। প্রতিদিন এক সময়ে ঘুমাতে যান, ঘুমের আগে উত্তেজক বা এ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন, ঘরে ঘুমের পরিবেশ তৈরির দিকে নজর দিন। আমাদের বেডরুমের হওয়া উচিত ঘুমের জায়গা, অন্য কিছুর নয়। যে ঘর অন্ধকার, অতিরিক্ত গরম নয়, জিনিসপত্রে ঠাসা নয়, যেখানে নানা যন্ত্রপাতি বা মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয় এমন কিছু নেই। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না। যদি আপনি রেডিওতে কিছু শোনেন তাহলে স্লিপ টাইমার ব্যবহার করুন যাতে এটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে যায়। ৫. আপনার ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন আপনি হয়তো কোন সফল উদ্যোক্তা বা বিশ্বনেতার সম্পর্কে গল্প শুনেছেন - কীভাবে তারা মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েও পুরো দিন কর্মক্ষম থাকেন। সত্য কথাটা হলো: বেশির ভাগ লোকই এটা পারে না। কম ঘুম হলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাতের পর রাত যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয় - তাহলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে তা আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়। এর মানে হচ্ছে - প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা - এবং তা মেনে চলুন ছুটির দিনেও। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ‘টানা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুম বিপজ্জনক’ ঘুম নিয়ে যেসব ধারণা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, কিন্তু ভালো ঘুমের রহস্য কী?
আপনি ক্লান্ত, লম্বা একটা ঘুম দেবার জন্য শুয়ে পড়লেন বিছানায়। কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না । বহু লোকেরই এ সমস্যা হয়েছে কোন না কোন সময়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বেরুত বিস্ফোরণে বন্দরে অবস্থিত খাদ্য গুদাম ধ্বংস হয়ে যায়। প্রবাসী এই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পাশাপাশি আলোচনা চলছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননে রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবং সর্বশেষ বৈরুত বিস্ফারণের পর এক প্রকার কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে অর্ধাহারে এবং অনাহারে থাকার কথা জানিয়ে প্রবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশে ফেরত আসতে চাইছেন। লেবাননের বৈরুত শহরে গত তিন বছর ধরে একটি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী হোসেন। প্রথম দুই বছর বেশ ভালো উপার্জন করলেও চলতি বছরের করোনাভাইরাস মহামারি তার ওপর গত আগস্টে বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তার মতো বহু প্রবাসী বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। ওই বিস্ফোরণে দেশটির খাদ্য গুদাম ছাই হয়ে যাওয়ায় খাদ্যে আমদানি নির্ভর এই দেশটিতে চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশিরা চাকরি হারাতে থাকেন। আবার যাদের চাকরি আছে লেবানিজ মুদ্রার মান হু হু করে পড়ে যাওয়ায় তারাও চলতে পারছেন না। অর্থনৈতিক মন্দা আর বিস্ফোরণের প্রতিবাদের বৈরুতে বিক্ষোভ সীমাহীন কষ্ট মি. হোসেন আগে যে বেতন পেতেন সেটা লেবানিজ মুদ্রা থেকে ডলারে এরপর টাকায় ভাঙানোর আগে যে পরিমাণ টাকা পেতেন, এখন পান তার আট থেকে নয় ১০ গুণ কম। অনেকে টিকে থাকতে বাধ্য হয়ে দেশ থেকে টাকা আনছেন। “আগে বেতন ভাঙ্গায় ৩২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাইতাম এখন পাই ৪ হাজার টাকা,'' মি. হোসেন বলেন। ''এই টাকায় বাড়িভাড়া দিব কি, খাব কি, দেশে পাঠাবো কি। দেশ থেকে টাকা আনতে আনতে বাড়ি বিক্রি করতে হইসে। এইভাবে তো চলে না।” এমন অবস্থায় লেবাননে অবস্থানরত সীমাহীন কষ্টে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা জরিমানা গুনে হলেও দেশে ফিরতে মরিয়া। “যাদের চাকরি নাই তারা রাস্তাঘাটে বোতল টোকায় বিক্রি করে চলে, অনেকে ভিক্ষা করে। এর চাইতে দেশে থাকলে কিছু কর্ম করে খাইতে পারবো। আমরা দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু অ্যাম্বাসিতে গেলে আমাদের কথা ওরা শুনতেই চায় না। দুর্ব্যবহার করে।” সরকারি সূত্রমতে, প্রায় ৪০ লাখ জনসংখ্যার লেবাননে বৈধ অবৈধ মিলে অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন। বিভিন্ন বাসবাড়িতে নারী শ্রমিক, গৃহকর্মী হিসেবে আর বেশিরভাগ পুরুষ পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননে রাজনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রার মান পড়ে যাওয়া, এক কথায় অর্থনৈতিক মন্দার কবলে রয়েছে। তার মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারী এবং সবশেষে বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এ কারণে দেশটিতে থাকা হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী, বাংলাদেশে ফিরতে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং এর প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন। লেবাননের শুফ পর্বত: তবে এসব আবেদন কবে গ্রহণ করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হবে, সেটা আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মি. মামুন বলেন, “এ বছর আমরা সাড়ে ছয় হাজার কর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছি। আগে যারা আবেদন করেছিল তাদের সবাইকে পাঠানোই শেষ হয় নাই। তার ওপর হাজার হাজার মানুষকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হুট করে নেয়া যায় না। এজন্য পরিকল্পনা লাগে। এর সাথে দুই দেশের সরকার, দূতাবাস, এয়ারলাইন্স সবকিছু জড়িত। আমরা আবেদন পাচ্ছি। " এটা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ যেসব শ্রমিকের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই দূতাবাস তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে গত কয়েক দিন ধরে দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করে আসছে ভুক্তভোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে আটকা পড়া শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন রামরুর প্রেসিডেন্ট তাসনিম সিদ্দিকী। লেবানন সরকারের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত চুক্তি করা এবং এসব শ্রমিককে বাংলাদেশ বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন। মিস সিদ্দিকী বলেন, “ওই দেশের সরকারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত এই কর্মীদের দেশে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে আটকে পড়া শ্রমিকদের এর আগে বাংলাদেশের বিমানে করে ফেরত আনা হয়েছে। এবারো তাই করতে হবে।” তবে চার্টার্ড বিমানের ভাড়া যেহেতু অনেক বেশি, নিঃস্ব শ্রমিকদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়, জরুরি তহবিল থেকে সেটার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান। তবে এখনও লেবাননের বেশিরভাগ কর্মী দেশে ফিরতে চাইছেন না। অনেক টাকা খরচ করে দেশে পাড়ি জমানোয় এবং অনেকের এখনো দেনা শোধ না হওয়ায় তারা অপেক্ষা করছেন কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
লেবাননে অবস্থানরত হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে আসার জন্য বৈরুতের দূতাবাসে আবেদন করলেও তাদের ফেরানোর ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারছে না সরকার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কিউলেক্স মশা সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, প্রতি মাসেই যাতে মশার ঘনত্ব কেমন হচ্ছে তা তুলনা করার জন্য এই গবেষণাটি পরিচালনা করছেন তিনি। এর অংশ হিসেবে জানুয়ারির শেষের দিকে তিনি দেখতে পান যে, মশার ঘনত্ব অন্য সময়ে যা থাকে তার চেয়ে চারগুণ বেশি বেড়েছে। "গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করা হলে জানুয়ারিতে অন্যান্য মাসের তুলনায় চারগুণ মশার ঘনত্ব পেয়েছি, বিশেষ করে লার্ভার ডেনসিটি।" মশার ঘনত্ব কেমন বাড়ছে সেটা জানতে ঢাকার উত্তরা, খিলগাও, শনির-আখড়া, শাঁখারিবাজার, মোহাম্মদপুর ও পরীবাগসহ ছয়টি এলাকার নমুনা নিয়ে গবেষণা চলছে। মি. বাশার বলেন, "ছয়টা জায়গাতে গড় ঘনত্ব প্রতি ডিপে (মশার ঘনত্ব বের করার পরিমাপক) আমরা মশা পেয়েছি ৬০টিরও বেশি। যেখানে আমরা অন্যান্য সময় পাই ১৫-২০টি।" 'মশা বসুন্ধরার সম্পদ' রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় থাকেন নিহার সুলতানা। মশার উপদ্রব কেমন এমন প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা ঠাট্টা করেই তিনি বলেন, মশাকে বসুন্ধরার সম্পদ বলা হয়। তিনি বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় বরাবরই মশার উৎপাত বেশি। তবে ইদানীং মশার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। "বারান্দায় গেলে আমি ঢোকার আগেই এক ঝাঁক মশা ঢুকে পড়ে। ঘর ভাড়া আমি দিলেও আমার বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকে মশারা," বলেন তিনি। পূর্ণ বয়স্ক মশা মারতে ফগিংয়ের পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি জানান, ১০-১৫ দিন পর পর মশার ওষুধ দেয়ার আওয়াজ পাওয়া গেলেও বাস্তবে আসলে তা থেকে কোন লাভ হয় না। মশা কমে না। মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা রোমানা আফরোজ। তিনি জানান, সম্প্রতি মশার উপদ্রব প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে তার এলাকায়। মশার ভয়ে বিকেল থেকেই দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। আরো পড়ুন: "সন্ধ্যার পরেও যদি রাতে নয়টা-দশটার দিকে জানালা-দরজা একটু খুলি, মশা সারা ঘরে ভরে যায়।" তিনি জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় দেয়া হয়নি মশা মারার কোন ওষুধও। মশার উপদ্রবের ঠিক একই চিত্রের কথা তুলে ধরেন বাসাবোর কদমতলা এলাকার নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, তার বাড়ির পাশে একটি খাল রয়েছে। সেটি পরিষ্কার আর সংস্কারের কাজ চললেও মশা এখনো কমেনি। শুধু ঢাকা নয়, রাজধানীর বাইরে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের একই অবস্থা। সেখানকার ঈদগাঁ বরফকল এলাকার বাসিন্দা আয়েশা সিদ্দিকা পিংকি বলেন, মশার উপদ্রবের কারণে দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। "কয়েল দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। মশারি লাগায় রাখতে হচ্ছে। আমার বাসায় ছোট বাচ্চা আছে তো, এর জন্যই বেশি প্রবলেম হচ্ছে।" মশা কেন বেড়েছে? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেন, এই সময়ে যে মশা দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে ৯৯% হচ্ছে কিউলেক্স মশা। যেটি আসলে এডিস মশা নয়। তিনি জানান, এই মশা সাধারণত পঁচা পানিতে হয়। নর্দমা, ড্রেন, ডোবা, বিল ঝিলে পানি এখন পঁচে গেছে। পঁচা পানিতে জন্মায় কিউলেক্স মশা। সেই সাথে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে এবং পানি বহমান না থাকার কারণে কিউলেক্স মশার জন্মানোর হার বেড়ে যায়। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে প্রকৃতিতে যে মশার ডিম থাকে সেগুলো একযোগে ফুটে যায়। যার কারণে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। কিউলেক্স মশার কামড়ে অনেক সময় গোদ রোগ হয়। যেটাকে ফাইলেরিয়াসিস বা এলিফ্যান্টিয়াসিসও বলা হয়। এটি হলে হাত পা ফুলে বড় হয়ে যায়। কয়েল বা স্প্রে-তেও মশা যাচ্ছে না কেন? অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন যে, মশা মারতে বা তাড়াতে এর আগে কয়েল এবং অ্যারোসল স্প্রে ব্যবহার করা হলে তা কাজ করতো। তবে ইদানীং কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করলেও মশা তাড়ানো যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, নির্দিষ্ট কোন একটি কীটনাশক একটানা পাঁচ বছরের বেশি ব্যবহার করা হলে মশা সেই কীটনাশকের বিপক্ষে সহনশীলতা তৈরি করে। "এটি একটি জেনেটিক মেকানিজম।" এই প্রক্রিয়ায় ওই কীটনাশকের প্রতি সহনশীল হওয়ায় সেটি আর কাজ করে না। আর এজন্যই মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি পাঁচ বছর পর পর কীটনাশক পরিবর্তন করা দরকার। তার বিরুদ্ধে মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে কী করতে হবে? মি. বাশার বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে র‍্যাপিড অ্যাকশনের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আওতায় সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি জায়গায় যেখানে পানি রয়েছে সেখানে একযোগে লার্ভা নিধনের ওষুধ দেয়া ছিটিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে জনগণের সহায়তা বিল-ঝিল-ডোবা-নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এসব স্থানেই মশা বেশি জন্মায়। আর প্রাপ্ত বয়স্ক মশা দমনে ফগিং করতে হবে। এই অভিযান শুরু করার পর তিন দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। যাতে মশা আবার ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়। মশার বংশ বিস্তার রোধে চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া স্থায়ীভাবে মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সারা বছরব্যাপী সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। যার মধ্যে প্রথমেই পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা করতে হবে। অর্থাৎ আশপাশের পরিবেশ বা জলাশয় পরিষ্কার ও দূষণমূক্ত রাখতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে জৈবিক নিয়ন্ত্রণ। এক্ষেত্রে যেসব প্রাণী প্রাকৃতিকগতভাবেই মশা খেয়ে থাকে সেগুলো যেমন গাপ্পি ফিস, ব্যাং, ড্রাগন ফ্লাই-এগুলো ব্যবহার করতে হবে। এগুলোকে প্রকৃতিতে ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়টি হচ্ছে কীটনাশক। দুই ধরণের কীটনাশক রয়েছে যাদের মধ্যে এক ধরণের কীটনাশক লার্ভা ধ্বংস করে এবং অন্যটি পূর্ণ বয়স্ক মশা মেরে ফেলতে ব্যবহার করা হয়। আর চতুর্থটি হচ্ছে, মশা নিধন কর্মযজ্ঞে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। শুধু কোন একটি কর্তৃপক্ষ বা সিটি কর্পোরেশনের একার পদক্ষেপে মশা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। এর জন্য জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণ দরকার। 'সাঁড়াশি অভিযান চলছে' ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে দুটি জরিপ করা হয়েছে যেখানে আসলে মশা বেড়ে যাওয়ার চিত্রটি ধরা পড়েনি। তবে তার পরও মশা নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এরইমধ্যে কিউলেক্স মশা দমনে ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই অভিযান চলবে আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই অভিযানের পর মশা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বর্তমানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে চার গুণ। আর মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া না হলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মশার ঘনত্ব বেড়ে চরমে পৌঁছাবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি বলছে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মি. আলমের বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে 'ইন্টারনেটে ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়াতে কল্পনাপ্রসূত উস্কানিমূলক মিথ্যা তথ্য' প্রচারের অভিযোগ আনা হয় রোববার রাতে ঢাকার তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, সোমবার মি. আলমকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করার পর ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ, তবে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের একজন মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, তাকে আটক করার পর গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে কি কারণ শহীদুল আলমকে আটক করা হয় এই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির সংবাদে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তার কিছু ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মি. আলমকে আটক করেছে"। তবে তার পরিবার আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, কেন তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তার পরিবারকে গোয়েন্দা পুলিশের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। শহীদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাবার পর তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ রাতেই এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ওই থানার ডিউটি অফিসার এস আই মহিদুল ইসলাম। শহীদুল আলম দৃক গ্যালারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন : নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: কী ঘটেছিল ধানমণ্ডিতে? জিগাতলা-সায়েন্স ল্যাব 'ঠান্ডা', অশান্ত বাড্ডা 'শহীদুল আলমকে একদল লোক তুলে নিয়ে গেছে'
বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ফটোগ্রাফার শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা এবং গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয় তবে সিলেটে বিএনপি'র রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী পাল্টা প্রার্থী দেয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রার্থিতা নিয়ে এতটা শক্ত অবস্থান নেয়নি বিএনপির-নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। এবারের এই অবস্থানের কারণ কি? এর ব্যাখ্যা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিবন্ধন-বাতিল-হওয়া দল জামায়াত সিলেটে পাল্টা প্রার্থী দেয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে। সিলেটে জামায়াতের এই অনড় অবস্থান জোটের রাজনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্ন এখন উঠছে তাদের জোটেই। নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা এবং দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে। তারা দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচন করতে পারবে না। সে কারণেই সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের একজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে 'টেবিল ঘড়ি' মার্কা নিয়ে সেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তিনি যেন এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান - সে জন্য বিএনপি অনেক চেষ্টা করলেও, তাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াত নেতা মি: জুবায়ের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তাদের দলের স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তিনি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। "আমরা অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের যাতে এখানে জোটের প্রার্থিতা দেয়া হয়। সেটা হলে আমরা জোট থেকেই নির্বাচন করতাম।" "কিন্তু জোট আমাদের প্রার্থিতা না দেয়ায় আমরা এখানে আলাদাভাবে নির্বাচন করছি" - বলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ, আদালতে রায় একঘরে পরিস্থিতি সামলাতে জামায়াতে নানা মত সিলেটে সিটি নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির পাল্টা প্রার্থী দিয়েছে উনিশশ' একাত্তর সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হয়েছে। দলটি বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারছে না। জামায়াতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, শীর্ষ নেতাদের বিচারকে কেন্দ্র করে তাদের দল একটা বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে। গোপনে নেতা কর্মীদের সংগঠিত রেখে তারা এগুচ্ছে। আর এ প্রেক্ষাপটেই এখন তারা চাইছেন, তাদের দলের রাজনৈতিক শক্তিটা দেখাতে। দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবরও জামায়াতের অবস্থানকে একইভাবে ব্যাখ্যা করছেন। "জামায়াত তাদের ফোর্সটাকে তুলে ধরছে। তারা যে রাজনীতিতে আছে, সেটা তুলে ধরার জন্যই তারা সিলেটে জোটের বাইরে নির্বাচন করছে।" জামায়াতকে জোটের শরিক হিসেবে সাথে রাখার ব্যাপারে বিএনপিকে বিভিন্ন সময় দেশের ভিতরে এবং বাইরে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি জামায়াতের ভোটকে হাতছাড়া করতে চায় না, বা তাদের জোটের ভোটকে ভাগও হতে দিতে চায় না। সেজন্যই সিলেটে জোটের একক প্রার্থী রাখার ব্যাপারে বিএনপি অনেক চেষ্টা করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিলেটে জোটের একক প্রার্থী দেয়া সম্ভব হলো না। কারণ সেখানে জামায়াত এ বিষয়ে একেবারেই অনড় রয়েছে যে, ওখানে তাদের প্রার্থী থাকবেই। সেটা নিয়ে সেজন্য আর আমরা কিছু বলছি না।" জোটের রাজনীতিতেও এটা 'কিছুটা নেতিবাচক' প্রভাব ফেলবে বলে বিএনপি নেতা মি: আলমগীর মনে করেন। "প্রভাব তো কিছুটা হলেও সাময়িকভাবে তো পড়লো। বিশেষ করে সিলেটের রাজনীতিতে পড়লো" - স্বীকার করেন তিনি। মি: আলমগীর বলেন, এর আগেও গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াত মেয়র প্রার্থী দিয়ে জোটে দরকষাকষি করেছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে সেখানে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু এবার জামায়াত সিলেটে কোনভাবেই তাদের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেবে না বলে বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির মহাসচিব গত কয়েক বছরে নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থে জামায়াত যে কোনভাবেই হোক বিএনপির সাথে জোটে থাকতে চেয়েছে। সে কারণেই এখন সিলেটে পাল্টা প্রার্থী দেয়ায় জামায়াতের অবস্থান নিয়ে বিএনপিতেই অনেক প্রশ্ন উঠেছে। দুই দলের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, জামায়াত রাজনৈতিকভাবে অবস্থান তৈরির কৌশল হিসেবে সিলেটে বিএনপির পাল্টা প্রার্থী দিয়ে সরকারের আস্থা পেতে চাইছে কিনা, তা নিয়ে জোটে সন্দেহ থেকে আস্থার অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে বেশি আসনে জোট থেকে প্রার্থী পাওয়ার দরকষাকষির জন্যও তারা এখন এমন অবস্থান নিয়ে থাকতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন। সিলেটে মেয়র প্রার্থী, জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এর বক্তব্যেও এটা বোঝা যায় যে, জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত আসন নিয়ে তাদের জোটে বড় দর কষাকষিতে যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরিদা আখতার জামায়াতের এখনকার অবস্থানকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখছেন। "আলাদা প্রার্থী দেয়াটা একটা কৌশল হতে পারে। আবার তারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান বোঝার জন্যও এমন অবস্থান নিতে পারে।" যদিও সিলেট নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখনও এই দুই দলের নেতাদের অনেকে মনে করেন, আওয়ামী লীগের সরকারের বিরোধিতা থেকে তাদের স্ব স্ব দলের প্রয়োজনেই শেষপর্যন্ত তারা তাদের জোট টিকিয়ে রাখবেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: থাই গুহায় আটকাপড়া ১৩ জনের সবাই বেরিয়ে এসেছে বেলজিয়াম-ফ্রান্স: 'জিভে জল আসার মতো ম্যাচ হবে'
বাংলাদেশে সিলেট, রাজশাহী এবং বরিশাল - এই তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর মঙ্গলবার প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশ ছাড়া ভারতেও নানা ধরণের বৈষম্যের শিকার হয় দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যরা (প্রতীকি ছবি) কুলাউড়া উপজেলার ওই বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিবিসি বাংলাকে জানান, অন্য বাচ্চাদের অভিভাবকদের আপত্তির কারণে শিশুটিকে ক্লাস করতে বাধা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার প্রথম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাস করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর পর থেকে ৭ বছর বয়সী ওই শিশুটি নিয়মিত ক্লাস করছে বলেও জানানো হয়। ওই শিশুটির বাবা বিবিসি বাংলাকে জানান, গত ১৩ই জানুয়ারি ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করান তিনি। কিন্তু সেদিন রাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ফোন করে জানায় যে, তারা হরিজন সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে তার সন্তানকে ওই স্কুলে ক্লাস করতে দেয়া সম্ভব নয়। তাকে যেন অন্য কোন স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। "আমাকে জানায় যে, অন্য বাচ্চার অভিভাবকরা নাকি সমস্যা করতেছে," বলেন ওই শিশুটির বাবা। এর পর শিশুটির বাবা এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেন। আরো পড়তে পারেন: গোঁফ দেখিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ভারতের দলিতরা 'দলিত' শব্দটি ব্যবহার না করতে সরকারি পরামর্শ দিনাজপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন এর পর গত বৃহস্পতিবার (১৬ই জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে ক্লাস করতে না দেয়ার কারণ জানতে চান। সেসময় স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তারা শিশুটিকে ভর্তি করালেও অন্য শিশুদের অভিভাবকরা আপত্তি তোলে যে, একজন হরিজন শিশুর সাথে তাদের বাচ্চা পড়াশুনা করবে না। এ কারণেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ইউএনওর হস্তক্ষেপে শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে আবার ক্লাস করার অনুমোদন দিতে বাধ্য হয়। জীবনের নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মংলা বাসপর জানান, শুধু স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে নয়, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ-কর্মেও তাদের এ ধরণের বৈষম্যের মুখে পড়তে হয়। তিনি জানান, কুলাউড়া থানায় ৪০টির মতো হরিজন পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সামাজিক কোন অধিকার নেই। মিস্টার বাসপর বলেন, হোটেলে খাবার খেতে গেলেও বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাদের। অন্যদের সাথে চেয়ার টেবিলে বসে খাবার খেতে দেয়া হয় না তাদের। "হোটেলের সামনে গেলে অন্য বাচ্চারা ঢুকে খাচ্ছে, আমাদের বাচ্চারা বাইরে কাগজে নিয়ে মাটিতে বসে খায়," তিনি বলেন। এছাড়া চাকরি এবং বাসস্থানের মতো সমাজের প্রতিটি স্তুরে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষেরা বৈষম্যের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন মিস্টার বাসপর। বিবিসি বাংলার আরো খবর: এক ঘন্টার মধ্যে চার খুন করে আত্মহত্যা করলো খুনী অভিযোগ 'নির্লজ্জ, বেআইনি': ট্রাম্পের আইনি দল ভ্লাদিমির পুতিন কে এবং তিনি কী চান?
মৌলভীবাজারে হরিজন হওয়ার কারণে একটি শিশুকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করার পর ইউএনও'র হস্তক্ষেপে আবারো শিশুটিকে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পুরুষদের পক্ষে নানা ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে এই উপলক্ষে আজ ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন' নামে একটি সংগঠন। ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জেও কর্মসূচি পালন করেছে এই সংগঠনটি, যাদের দাবি 'বাংলাদেশে পুরুষরাই বেশি নির্যাতিত হয়। আর সে কারণে তারা মনে করেন 'পুরুষ নির্যাতন' প্রতিরোধে আইনি সুরক্ষা থাকা দরকার। সংগঠনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন তারা মৌখিক ভিত্তিতে জরিপ করেছেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। "আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে আশি ভাগ পুরুষই নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার। বিশেষ করে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা তা বলতে পারেননা। এছাড়া মামলা বা প্রতারণা শিকার তো অনেকেই হচ্ছেন"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'পুরুষ অধিকার' রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন যারা ওয়াইসির 'মসজিদ ফেরত চাই' মন্তব্যে অনলাইনে ঝড় লবণ নিয়ে গুজব: মন্ত্রণালয় বলছে কোন ঘাটতি নেই পুরুষ নির্যাতন: আসলে কতটা ব্যাপক যৌতুক এবং নারী নির্যাতন বিরোধী আইন পুরুষদের নির্যাতনে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে শেখ খায়রুল আলম বলছেন তিনি নিজেও ব্যক্তিগত জীবনে 'ভুয়া' যৌতুক মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন,হয়রানির শিকার হয়েছেন। "এক মামলায় জামিন নেয়ার পর আবার নারী নির্যাতনের মামলা করেছিলো। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এই অভিযোগের তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তারপর আমি ৭৭ দিন হাজত খেটেছি, বিনা অপরাধে," বলছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার অধিবাসী ইমরান হাসান। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন বিয়ের নামে তিনি প্রতারণার শিকার হয়ে উল্টো মামলার মুখে পড়েছেন। "আমি বিয়ে করেছিলাম ২০১৮ সালে। মেয়ে ছিলো আমেরিকান নাগরিক। তথ্য গোপন করে সে আমাকে বিয়ে করেছিলো। পরে সে আরেকজনকে বিয়ে করে আমেরিকা চলে যায় এবং সেখান থেকে দশ লাখ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে আমি ডিভোর্স দিলে আমার নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে। আমার বাবা, মা ও আমার নামে ওয়ারেন্ট করালো। শেষে খোরপোশের মামলা। এখনো মামলা চলমান আছে। আরও কয়েকটি থানায় আমার নামে অভিযোগ করেছে।" আবার মাজেদ ইবনে আজাদ নামে আরেকজন বিবিসিকে বলেন তিনি প্রেম করে দু:সম্পর্কের এক মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এক বছর পর তার সেই স্ত্রী তাকে পরিত্যাগ করেছে। "সে আরেকজনকে বিয়ে করার জন্য গোপনে আমাকে ডিভোর্স দিলো। তার সাথে আগে থেকেই তার সম্পর্ক ছিলো। সে যদি তাকেই বিয়ে করবে তাহলে আমার সম্মান নষ্ট করলো কেনো। এমনকি আমার বিরুদ্ধে পরে পর্ণগ্রাফীর মামলা করেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।" 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন' এর সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলছেন নারীদের যেমন আইনি সুরক্ষা আছে পুরুষদেরও নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য তেমন আইন দরকার। ২০১৮ সালেও দিবসটি পালন করেছে মেনস রাইটস ফাউন্ডেশন পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে ১৪ দফা শেখ খায়রুল আলম বলছেন তারা চান প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও যৌতুক আইনের সংশোধন করা হোক। "এখন অভিযোগ করলেও সত্য মিথ্যা যাচাই না করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফলে এটি পুরুষদের হয়রানির একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।" তিনি বলেন নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার ও কেউ মিথ্যা মামলা করেছে প্রমাণ হলে তার কঠিন শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা থাকা উচিত। "কেউ বিনা অপরাধে জেল খাটালে ক্ষতিপূরণসহ শাস্তি দিতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যাবেনা। এবং কোনোভাবেই সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া শাশুড়ি, ননদ, শ্বশুর বা দেবরকে আসামি করা যাবেনা।" তার দাবি অনেক ক্ষেত্রেই বাবা মাকে পরিত্যাগের জন্য অনেক স্ত্রী চাপ দিয়ে থাকেন যা একজন পুরুষের জন্য বড় মানসিক নির্যাতন। তাই এটি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সমাজ কি এড়িয়ে যাচ্ছে ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক সালমা আক্তার বিবিসিকে বলছেন পুরুষরা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন, তবে কতটা হচ্ছেন তা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি বা গ্রহণযোগ্য তথ্য উপাত্ত এখনো নেই। "তবে মনে রাখতে হবে আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। এখানে কিন্তু ব্যক্তি পুরুষের কথা বলা হচ্ছেনা। অনেক পুরুষই সমতার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। তবে সমাজে কিছু প্রচলিত ধারণা আছে যেমন পুরুষের কান্না করা মানায়না বা বিয়ের সময় বলা হয় ছেলে কি করে আর মেয়ে দেখতে কেমন। এগুলো পুরুষতান্ত্রিকতারই ফল।" ঢাকায় মানববন্ধন সালমা আক্তার বলেন, "পুরুষরা নির্যাতনের শিকার হলে সেটিও মানবাধিকার ইস্যু। তবে দেখতে হবে কি কারণে হচ্ছেন। তিনি কি পুরুষ দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন নাকি নারীর দ্বারা। শুধু নারী হওয়ার কারণে অনেক নারী যেমন সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। তেমনি পুরুষ যদি পুরুষ হওয়ার কারণে নির্যাতনের শিকার হন তাহলে এটাও জেন্ডার ইস্যু।" তিনি বলেন একই সাথে দেখতে হবে পুরুষ নির্যাতনের শিকার হলে সেটি কি কারণে হচ্ছেন। সেটি কি অর্থনৈতিক নাকি অন্য কোনো কারণে। কারণ ও ধরণ বের করে সেভাবেই সেটিকে বিবেচনা করতে হবে। "তবে সমাজে পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টিকে পুরোপুরি ফেলে দেয়া যাবেনা। এর অস্তিত্ব স্বীকার করেই দেখতে হবে কতটা ব্যাপক ও এর কারণ ও ধরণ কি। তাহলেই বোঝা যাবে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ কোনো ধরনের সহিংসতাকেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।" রংপুরে 'বাংলাদেশ মেন'স রাইটস ফাউন্ডেশন' এর আইনি পরামর্শক রিজওয়ানা আখতার শিরিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন পুরুষকে পেয়েছেন যাদের নির্যাতিত বলেই তার কাছে মনে হয়েছে। "এমন অনেক ঘটনা পাচ্ছি যেখানে পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছেন। কিন্তু লজ্জায় বা ভয়ে বলতে পারছেন না। লোক হাসাহাসির ভয়ও কাজ করে তাদের মধ্যে। সম্প্রতি একটি ঘটনা পেয়েছি যেখানে স্ত্রী পরকিয়া করতে গিয়ে স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে উল্টো নির্যাতন ও দেনমোহরের মামলা করেছেন। এমন নানা ধরণের ঘটনা আমরা এখন পাচ্ছি। এসব কারণেই আইনি সুরক্ষার দাবি জোরালো হচ্ছে যাতে পুরুষ অকারণে ভিকটিম না হন।"
বিশ্বের অনেক দেশে কিছু বেসরকারি সংগঠন ১৯শে নভেম্বর 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস' পালন করে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
জুনায়েদ বাবুনগরী (ফাইল চিত্র) এই আহবায়ক কমিটির প্রধান হয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী নিজেই। সংগঠনটির এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত একাধিক নেতা বলেছেন, নানামুখী সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে শুধু অরাজনৈতিক এবং বয়স্ক নেতাদের দিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। তবে হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে আকস্মিকভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে সংগঠনের ভিতরেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। হেফাজতে ইসলামের এ ধরনের সিদ্ধান্তের পেছনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে "সার্বিক পরিস্থিতি বা চলমান অস্থির এবং নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়ার" কথা বলা হয়েছে। আর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। তবে সংগঠনটির নেতাদের অনেকে বলে আসছিলেন, গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে তাদের সংগঠন চাপে পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের সাথে হেফাজতের সমঝোতার চেষ্টাও দেখা গেছে। এখন 'চাপের মুখে সমঝোতার অংশ হিসাবে', নাকি নিজেদের 'অভ্যন্তরীণ কারণে' - কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে-এমন বিভিন্ন প্রশ্নে নানা আলোচনা চলছে। হেফাজতের নতুন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেছেন, সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আহবায়ক কমিটি গঠনের বিষয়টি জরুরী হয়ে পড়েছিল। "সরকারের সে রকম কোন চাপ নাই। সরকার কোন শর্ত দেয় নাই। এটা সমঝোতার কোন অংশ নয় বা সরকারের চাপে নয়। পরিস্থিতির কারণে এটা হেফাজতের কারণে জরুরি মনে করেছেন আমাদের আমীর" - বলেন নুরুল ইসলাম জেহাদী। আরও পড়ুন: হেফাজতে ইসলামের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টায় মরিয়া হেফাজত মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে হেফাজত নেতাদের সাক্ষাৎ, যা জানা যাচ্ছে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতৃত্বের সাথেই কি সরকারের আসল বিবাদ? তবে এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়ার যে কথা বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে মি: জেহাদী বলেছেন, "সার্বিক বিষয় বলতে খুঁটিনাটি অনেক কিছু আছে। যেগুলো বিবেচনা করতে হয়েছে।" "বিভিন্ন বক্তব্য বা বিভিন্ন জায়গায় আচরণের কারণে কিছু সংকট তৈরি হয়েছে, সেটাকেই সার্বিক বিষয় বলে এটা করতে হয়েছে। এটার প্রয়োজন ছিল" বলে তিনি মনে করেন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে একশোটির বেশি মামলা হয়েছে, যাতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাসহ অনেক নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসাথে হেফাজতের একজন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে নানা বিষয়ে বিতর্কও সংগঠনটিকে বিব্রতকর পরিস্থিতি ফেলে দেয়। এসব নিয়ে সংগঠনটির ভেতরেও নানা প্রশ্ন ওঠে বলে এর একাধিক নেতা জানিয়েছেন। হেফাজতের কর্মকাণ্ড ঘনিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করেন লেখক শরীফ মোহাম্মদ। তিনি মনে করেন, সংগঠনের ঐক্য ধরে রাখা বা পরিচালনার সংকটও এ ধরনের পদক্ষেপের অন্যতম কারণ হতে পারে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় এসেছিল "হেফাজতে ইসলাম নানা কারণে একটা সংকটে পড়েছে। পরিচালনার সংকট বলি বা ধরে রাখার সংকট, সবাইকে নিয়ে চলার সংকট - এটারই একটা প্রকাশ ঘটেছে রোববার রাতে।" শরীফ মোহাম্মদ আরও বলেছেন, "হেফাজতের ভেতরকার নানাজনের পদত্যাগ করতে চাওয়ায় যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে যেন একটা উত্তরণ ঘটানো যায়। সেটা একটা কারণ হতে পারে। " "অথবা অনুমান করা যায়, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন রকম চাপ থাকতে পারে বা দলগত চাপ থাকতে পারে" - বলেন তিনি। হেফাজতের নেতাদের অনেকে বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের সাথেও সম্পৃক্ত। এই ইস্যুও আবার আলোচনায় এসেছে। শরীফ মোহাম্মদ বলছেন, "বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের সমন্বয় হয়েছিল হেফাজতের কমিটিতে। তাদের ভেতর থেকেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রেসার (চাপ) থাকতে পারে। যেটার সমন্বয় হয়েতো করা সম্ভব হচ্ছিল না হাইকমাণ্ডের পক্ষে। সেটাও হতে পারে" বলে তিনি মন্তব্য করেন। হেফাজতে অভ্যন্তরীণ চাপ অনেকটা প্রকাশ্যেও এসেছে। কয়েকদিন সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির একজন নায়েবে আমীর পদত্যাগ করেছেন। আর কয়েকজন পদত্যাগ করার কথা বলেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠনের বিষয়কে সংগঠনটিকে টিকিয়ে রাখার কৌশল হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। তবে হেফাজতের নেতা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেছেন, বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাদের তাদের সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে যেহেতু প্রশ্ন ওঠে, সেজন্য অরাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে এই আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। "অরাজনৈতিক ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের বা মুরুব্বী ও বয়স্ক নেতাদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। যদি এটার কোন সম্প্রসারণ হয়, তাহলে একই ক্যাটাগরির লোক দিয়ে তা করা হবে।" মি: জেহাদী আরও বলেছেন, "হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন - কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে করা হয় - এরকম একটা কথা আছে। সেজন্য অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে।" প্রয়াত আহমদ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের উত্থান হয়েছিলো হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের নভেম্বরে সংগঠনটির নতুন কমিটি গঠন করে আমীর হয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এই কমিটি গঠন নিয়ে তখন সংগঠনটির একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং প্রয়াত আমীর আহমেদ শফির ছেলে ও তার অনুসারীরা কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। এখন সেই কমিটি বিলুপ্ত করে মি: বাবুনগরী আহবায়ক কমিটির প্রধান এবং বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী সদস্য সচিব হয়েছেন। আকস্মিকভাবে এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমীর এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নামের একটি দলের নেতা আব্দুর রব ইউসুফী। তিনি তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, "হেফাজতের কয়েক ডজন নেতা যখন রিমাণ্ডে এবং শত শত নেতাকর্মী জেলে বা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে জুনায়েদ বাবুনগরী তার নেতৃত্বের কোয়ালিটি হারিয়েছেন" বলে তিনি মনে করেন। এই ফেসবুক পোস্টের বাইরে মি: ইউসুফী আর কোন বক্তব্য দেননি। ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের নেতা যারা হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটিতে ছিলেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, হেফাজতের যে নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন বা যারা গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের জন্য সংগঠনের এখনকার পদক্ষেপ ক্ষতিকর হতে পারে বলে তাদের ধারণা। তারা বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে হেফাজতের এই কৌশল কতটা ভূমিকা রাখবে তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। হেফাজতের সাথে ঘনিষ্ট বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, সরকারের চাপের পাশাপাশি সংগঠনের ভিতরেও অনেকের পদত্যাগসহ নানা মতের নেতাদের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়টিও কমিটি ভেঙে দেয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে তারা মনে করেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দোকানপাট খোলা রেখেই বাংলাদেশে লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে আবারো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেরা মানুষদের মনিটরিং এর কী ব্যবস্থা কীভাবে ১৯৪৭ সালে দু'ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর মহামারিতে কাবু ভারত, আইপিএল থেকে সরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা হেফাজতে ইসলামের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন
বাংলাদেশে রোববার রাতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা এবং তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নতুন একটি আহবায়ক কমিটি গঠনের বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ মানুষের অসচেতনতা। একটি ঘটনায় মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে, ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনে হাঁটতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে এক বাবা ও তার দুই মেয়ে মারা গেছে। রেলসূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই রেললাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০৩ জনের। যার মধ্যে ২৩৮ জন পুরুষ ৬৫ জন নারী। গত বছর মৃত্যু হয়েছে ৮১২ জনের। এ ধরণের দুর্ঘটনার পেছনে মানুষের অসচেতনতাকে প্রধান কারণ হিসেবে দুষছে রেলওয়ে পুলিশ। তেজগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক গেটম্যানরা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজালেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই মানুষের। অনেকেই মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে লেভেল ক্রসিং ক্রস করে রেললাইন পার হয়ে যান। এমন এক পথচারীকে প্রশ্ন করলাম তিনি কেন এতো ঝুঁকি নিয়ে পার হলেন। তিনি বললেন, "অনেক সময় তো দুর্ঘটনা ঘটে। সব সময় মানুষের দেখেশুনে চলা উচিত। এখন থেকে সতর্ক হয়ে চলবো।" তবে মানুষের এ ধরণের অসচেতনতার কারণে প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবর। সবচেয়ে বেশি রেল দুর্ঘটনা ঘটে ঢাকা-কমলাপুর-টঙ্গি রুটে। মঙ্গলবার ফেনীর মহেশপুরে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন এক বিদ্যুৎকর্মী। এর আগে সোমবার বিকেলে নরসিংদীর রায়পুরা আমিরগঞ্জ রেল ব্রিজে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বাবাসহ দুই মেয়ে নিহতের ঘটনা ঘটে। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোডে রেল লাইনের উপরে বসে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান এক যুবক। এসব দুর্ঘটনার পেছনে মূলত অচেতনতাকে দায়ী করেন তেজগাঁও রেলগেটের গেটম্যান ওয়াহিদুল্লাহ হোসেন, "একটু আগে একটা মোটর সাইকেলকে বললাম পার না হতে। উনি শুনলেন না পার হয়ে গেলেন। এখানে আমরা কি বলব? এখন মানুষের জীবনের চাইতে সময়ের মূল্য বেশি।" সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঢাকা-কমলাপুর-টঙ্গি রুটে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে মানুষকে সজাগ করে তুলতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসেই রেললাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০৩ জনের এ ব্যাপারে ঢাকা রেলওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশফাকুল আলম জানান, "ট্রেনে কাটা পড়ার অধিকাংশ ঘটনাই ঘটছে মোবাইল ফোনে গান শোনা, সেলফি তোলা এবং ফোনে কথা বলতে রেললাইন ধরে হাঁটা বা পার হওয়ার কারণে।" "রেল লাইনে এভাবে কাটা পড়ে হতাহতের ঘটনা কমাতে রেল কর্তৃপক্ষ ও রেলপুলিশ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও মানুষ এতে গুরুত্ব না দেয়ায় দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছেনা।এক্ষেত্রে রেল পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।" রেল পুলিশ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালালেও এ বিষয়ে মানুষের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। "রেলে দুর্ঘটনা ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করা হয়। প্রচারণা চালানো হয়। তবে এখানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যুক্ত হতে পারলে, মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা যেত।" রেলওয়ে আইন অনুযায়ী, রেলপথের দু'পাশে ১০ ফুট করে ২০ ফুট এলাকায় চলাচল আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই সীমানার ভেতর কেউ প্রবেশ করলে তাকে গ্রেফতারের বিধান রয়েছে। এমনকি এই সীমানার গবাদিপশু প্রবেশ করলে সেটা বিক্রি করে এর অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিনা পরোয়ানায় দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখেন। দেশের রেলপথগুলো অরক্ষিত থাকায় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে দোষ প্রমাণ হলে দায়ী ব্যক্তিকে সাত বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় লোকবল যথেষ্ট না থাকায় বাস্তবে আইনের এসব বিধান কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ বলে জানান জিআরপি থানার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশফাকুল আলম। "আমাদের দেশের রেলপথগুলো অরক্ষিত। এই বিশাল এলাকাজুড়ে প্রতিটি পয়েন্ট আসলে চাইলেও নজরদারিতে আনা সম্ভব না। এক্ষেত্রে জন সচেতনতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।" সারাদেশে মোট রেলপথ ২৮৭৮ কিলোমিটার। লেভেল ক্রসিং রয়েছে ২৫৪১টি। যার মধ্যে অবৈধ রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১৩০০টি। অথচ এসব লেভেল ক্রসিংয়ে রেলরক্ষী রয়েছে মাত্র ২৪২টিতে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ রেলওয়েতে কেন ১৪ হাজার পদ খালি? ঢাকা-কলকাতা ট্রেন যাত্রায় তিন ঘণ্টা সময় কমবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ: দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন
বাংলাদেশে গত ক'দিনে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনার পর তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিসিজি টিকা হয়তো কোভিড-১৯এ মৃত্যু ঠেকাতে পারে - বলা হচ্ছে কিছু গবেষণায় এখন ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ১০০০ লোকের ওপর এক পরীক্ষা চালানো শুরু করেছেন। যক্ষা রোগ ঠেকানোর জন্য এই বিসিজি টিকা উদ্ভাবিত হয়েছিল, কিন্তু পরে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় যে এটি অন্য আরো কিছু সংক্রমণের হাত থেকেও মানুষকে রক্ষা করতে পারে। যুক্তরাজ্যের এই পরীক্ষাটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ। অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও ব্রাজিলের মোট ১০ হাজার লোক এই ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন। এই পরীক্ষায় জোর দেয়া হবে স্বাস্থ্য ও সেবা কর্মীদের ওপর - কারণ তারাই করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন। তাছাড়া গবেষকরাও অনেক দ্রুত বুঝতে পারবেন যে টিকাটি কার্যকর হচ্ছে কিনা। গত মে মাসে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যান্সেটে একটি নিবন্ধ বের হয় যার অন্যতম লেখক ছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস এ. গেব্রেইয়েসুস। সেখানে তারা লেখেন, বিসিজি টিকা দিলে হয়তো সার্স-কোভ-টু ভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতার কম গুরুতর হতে পারে, এবং সেরে ওঠার গতিও দ্রুততর হতে পারে। তারা বলেন, কোভিড-১৯এর একটি সুনির্দিষ্ট টিকা তৈরির আগের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সেতু হয়ে উঠতে পারে এই বিসিজি টিকা। আগে যারা বিসিজি নিয়েছেন, তাদের আবার তা নিতে হবে? তবে মনে রাখতে হবে, বিসিজি টিকা হয়তো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হয়ে উঠতে পারবে না। কারণ বিসিজি টিকা নেয়া লোকদের কোভিড প্রতিরোধের ক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে কমে যেতে পারে। তাই বলা হচ্ছে - যারা শৈশবে বিসিজি টিকা নিয়েছেন তাদের এখন আর করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা মিলবে না। কারণ সেই টিকা মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সেই বিশেষ এ্যান্টিবডি ও শ্বেতকণিকা তৈরি করাতে পারবে না - যা করোনাভাইরাসকে চিনে নিয়ে তাকে ধ্বংস করতে পারে। যুক্তরাজ্যে ২০০৫ সাল থেকে আর বিসিজি টিকা দেয়া হয় না - কারণ দেশটিতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। বিসিজি বা ব্যাসিলাস-ক্যালমেট-গুরিন টিকা তার মানে হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে যারা ২০০৫ সালের আগে বিসিজি টিকা নিয়েছেন - তাদেরকে হয়তো আবার সেই টিকা নিতে হবে, যদি এটা প্রমাণিত হয় যে এটি করোনাভাইরাস থেকে সত্যিই সুরক্ষা দিতে পারে। কি কি সংক্রমণ ঠেকাতে পারে বিসিজি? গিনি-বিসাউতে চালানো কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, নবজাত শিশুর নিউমোনিয়া ও সেপসিস থেকে মৃত্যু ৩৮ শতাংশ কমাতে পারে বিসিজি। দক্ষিণ আফ্রিকায় জরিপে দেখা গেছে যারা বিসিজি নিয়েছেন তাদের নাক গলা ও ফুসফুসের সংক্রমণ ৭৩ শতাংশ কমেছে। নেদারল্যান্ডসে চালানো জরিপে দেখা যায়, বিসিজি মানবদেহে ইয়েলো ফিভার ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক জন ক্যাম্পবেল বিবিসিকে বলেন, "ব্যাপারটা বৈশ্বিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ বিসিজি যে সুরক্ষা দেয় তা হয়তো সুনির্দিষ্টভাবে কোভিডের জন্য নয়- কিন্তু এতে কোভিড টিকা তৈরির আগে পর্যন্ত হাতে কয়েক বছর সময় পাওয়া যেতে পারে। " সে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো একটাই - তা হলো এমন একটি নতুন টিকা উদ্ভাবন - যা সুনির্দিষ্টভাবে মানবদেহে করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে । কখন আসবে করোনা টিকা?
খবরটা ছড়িয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই - ১৯২১ সালে তৈরি করা বিসিজি টিকা নাকি কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে পারে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশে ধর্ষণের চিত্র ধর্ষিত হয়ে চার বছর মামলা চালিয়ে বিচার পেয়েছেন এমন একটি মেয়ে বিবিসিকে বলেন, মাদ্রাসার একজন শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ভিকটিম বলেন, "আমার টিচার ছিল। ঘটনা হওয়ার পর আমরা পুলিশের কাছে যাই নাই। অনেক পরে জানাজানি হইছে। আমার ফ্যামিলিও জানতো না। আমারে ভয় দেখানো হইছিল। আর আমি তখন কিছুই বুঝতাম না। জানার পরে আমার আব্বু কোর্টে মামলা করে। মেডিকেল রিপোর্টে আসছিল আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছিলাম। আমার ঘটনা জানাজানির পরেই নিরাপত্তার জন্য আমি মহিলা আইনজীবী সমিতির শেল্টারে ছিলাম।" ধর্ষণের শিকার নারীকেই দোষী করার একটা প্রবণতা এদেশের সমাজে আছে সেটিও এ ভিকটিমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি আরো বলেন "আমার এলাকার মানুষও সবসময় আমার বিরুদ্ধে ছিল। তারা চাইছিল আমাদের এলাকা থেকে বের করে দেয়ার।" ধর্ষণের শিকার নারীকে বার বার ঘটনার বিবরণ দেয়া এবং নানান প্রশ্নের মুখে বিব্রত হতে হয়। এ ভিকটিম বলছিলেন, ধর্ষণের বিচার খুবই কম, হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভিকটিম ( প্রতিকী ছবি) "আমি কোর্টে দুইবার গেছি। আমি মিথ্যা বলতেছি এমন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। একটা সত্য ঘটনা মিথ্যা বলে প্রমাণের চেষ্টা করলে খারাপ লাগবেই। কোর্টের মাঝখানে এত মানুষের সামনে কথা বলতে আমার খুউব আনইজি লাগছে। এতগুলা মানুষের সামনে এত পারসোনাল বিষয়ে এতকথা বলা! তারপর এক একজন এক এক কথা বলে একেকটা মন্তব্য করে। যেমন এটা মিথ্যা হইতে পারে বা আমি খারাপ।" চার বছর মামলা চলার পর তার ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এই ভিকটিম চার বছরে বিচার পেলেও অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েদের সারাদেশে ৮টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে কাউন্সেলিং, পুলিশি ও আইনি সহায়তা দেয়া হয়। ২০০১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠিত এসব কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ৩শ ৪১টি যৌন নির্যাতনের মামলা হয়েছে যার মধ্যে ৫শ ৭৮টি বিচার হয়েছে এবং সাজা হয়েছে মাত্র ৬৪টি ঘটনার। ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ডাক্তার বিলকিস বেগম বলেন, শারীরিক পরীক্ষা যথাসময়ে না হলে ধর্ষণ প্রমাণ ও বিচার পাওয়া কঠিন। তিনি বলেন, "আইনি লড়াইয়ের জন্য এই যে সার্টিফিকেটটা খুবই দরকার। এই সার্টিফিকেট না হলে কোনো বিচারই হবে না। ওরা আসতেই দেরি করে ফেলে অনেক সময়। ফাইন্ডিংস আমরা ঠিকমতো পাইনা। ঘটনা ওরা স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, সময়টা কিল করে ফেলে। লিডাররা বসে সাতদিন পনেরদিন পার করে ফেলে আমরা ফাইন্ডিংস পাই না।" বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ধর্ষণের মামলায় আইনি সহায়তা দেয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, মামলা শেষ হতে দশ বছর বিশ বছরও লেগে যাচ্ছে (প্রতিকী ছবি) "বিচারহীনতার কারণেই কিন্তু ধর্ষণের বিষয়গুলা আরো বেশি হচ্ছে। বার বার প্রমাণ করতে গিয়ে ভিকটিম দ্বিতীয় বার ধর্ষণের শিকার হয়। থানায় মামলা নিতে বা আসামী পক্ষের আইনজীবী যেভাবে প্রশ্ন করে তখন কিন্তু সে আরেকবার ধর্ষণের শিকার হয়। আইনে আছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে, বিশেষ ক্ষেত্রে কারণ দেখিয়ে কিছুটা সময় নিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মামলা শেষ হতে দশ বছর বিশ বছরও লেগে যাচ্ছে।" ধর্ষণের বিচারহীনতার কারণ হিসেবে ভিকটিম এবং নারী অধিকার কর্মীরা পুলিশের গাফিলতির প্রসঙ্গটি বারবারই সামনে আনে। থানায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে ভিকটিমের সঙ্গে আচরণ, তদন্ত এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তার সবক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে পুলিশে অতিরিক্ত মহা পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, "কখনো কখনো আমাদের যারা ফিল্ডে কাজ করেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অথবা সাব ইন্সপেক্টর যারা আছেন তাদের মনে যদি কখনো সন্দেহের উদ্রেগ হয় সেই সময় তারা তাৎক্ষণিক-ভাবে কাল বিলম্ব না করে কিছুটা ভেরিফাই করার চেষ্টা করেন।" তদন্ত ও বিচার বিলম্বের কারণ হিসেবে মি. রহমান বলেন,"যিনি ভিকটিম বা ভিকটিমের পরিবার তার সঙ্গীরা সেখান থেকে যদি যথাযথভাবে সহযোগিতা না করে এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে যদি সাক্ষী যদি না আসে একটা আপসরফা করে ফেলে সেইক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের শেষ পর্যন্ত কিছু করার থাকে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি করা সম্ভব না। আমরা চার্জশিট দেয়ার পরেও যদি বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে সাক্ষীরা না দাঁড়ায় না কথা বলে সেক্ষেত্রেও কিন্তু মামলা ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।" বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যে জানা যায় ২০১৬ সাল এবং ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৪ হাজার ৮শর বেশি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। দেশে ধষর্ণের মামলায় বিচারের হার নিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, "আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখছি ধর্ষণ মামলায় মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশের শেষ পর্যন্ত সাজা হয়। প্রত্যেকটা জায়গায় একজন মহিলাকেই প্রমাণ করতে হচ্ছে অথবা একটা কিশোরীকেই প্রমাণ করতে হচ্ছে যে সে ধর্ষিত হয়েছে। যেটা আমরা চাই আসামীই প্রমাণ করবে যে সে নির্দোষ। রেপ কেসে এইটাই কিন্তু হওয়া উচিৎ।"
বাংলাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের বহু ঘটনা ঘটছে কিন্তু তার বিচার এবং শাস্তি হচ্ছে খুবই কম। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন ধর্ষণের বেশিরভাগ ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায়। এছাড়া ধর্ষণের বিচার পেতেও নারীকে পদে পদে হয়রানি আর অবমাননার শিকার হতে হয়।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইন্দোনেশিয়ায় এক নারীকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের দৃশ্য: ফাইল ফটো তেরেঙ্গানু রাজ্যের শরিয়া হাইকোর্টে ২২ এবং ৩২ বছর বয়স্ক ওই দুই মুসলিম নারীর প্রত্যেককে ছয় বার করে বেত্রাঘাত করা হয়। স্থানীয় একটি সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছে যে ১০০-রও বেশি লোক এই বেত্রাঘাতের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে। মালয়েশিয়ার ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় উভয় ধরণের আইনেই সমকামিতা অবৈধ। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই রাজ্যে সমকামী যৌন সম্পর্কের অভিযোগে এটাই প্রথম দন্ডাদেশ এবং প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের ঘটনাও এটিই প্রথম। দন্ডিত দুই নারীর নাম প্রকাশ করা হয় নি। গত এপ্রিল মাসে তেরেঙ্গানুতে একটি গাড়ির ভেতর থেকে ইসলামি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাদের আটক করে। গত মাসে তারা ইসলামিক আইন ভাঙার দোষ স্বীকার করে, এবং তাদের ৮০০ মার্কিন ডলার সমমানের জরিমানা এবং বেত্রাঘাতের দন্ড দেয়া হয়। মানবাধিকার কর্মীরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উইমেন্স এইড অর্গানাইজেশন নামে একটি নারী সংগঠন বলেছে, গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের এ ঘটনায় তারা মর্মাহত। তারা বলেছে, দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌনক্রিয়া করে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত নয়, বেত্রাঘাতের দন্ড তো নয়ই। কিন্তু তেরেঙ্গানু রাজ্যের নির্বাহী কাউন্সিলের একজন সদস্য সাইফুল বাহরী মামাত এই শাস্তিকে সমর্থন করে বলেছেন, কাউকে নির্যাতন বা আহত করার জন্য এটা করা হয়নি, বরং প্রকাশ্য বেত্রাঘাতের উদ্দেশ্য হলো - যাতে সমাজ এ থেকে একটা শিক্ষা গ্রহণ করে।
মালয়েশিয়ায় একটি গাড়ির মধ্যে 'লেসবিয়ান' যৌনক্রিয়ার চেষ্টা করার দায়ে অভিযুক্ত দুই নারীকে একটি ধর্মীয় আদালতে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমানের করে আইন পাস হয়েছে। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়। আয়োজকরা এই সমাবেশকে 'শোকরানা মাহফিল' হিসেবে অভিহিত করেছেন। সারাদেশ থেকে কওমী মাদ্রাসার হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এ সংবর্ধনা দিয়েছে কওমী মাদ্রাসাগুলোর একটি সংগঠন হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতুল কাওমিয়া বাংলাদেশ। আজ এই সমাবেশের জন্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএস সি) পরীক্ষার তারিখ পাল্টানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। তবে এই সমাবেশের অন্যতম একজন উদ্যোক্তা মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ বলছেন, কোন রাজনৈতিক বার্তা দেয়া এ সমাবেশের উদ্দেশ্য নয়। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরিদউদ্দীন মাসউদ বলেন, এর মধ্যে কেউ রাজনৈতিক বার্তা দেখতেই পারেন - তবে তা এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য নয়। তার কথায়, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাতেই এ সমাবেশ। "এ সমাবেশের সাধারণ বার্তাটা এটাই যে প্রধানমন্ত্রী আলেমদের সাথে, মুসলমানদের সাথে - যে ওয়াদা করেছিলেন, সেই ওয়াদা তিনি রক্ষা করেছেন, বাস্তবায়ন করেছেন।" "তাই তার ওপর আস্থা রাখা যায় যে ভবিষ্যতেও তার ওয়াদার বাস্তবায়ন তিনি করবেন" - বলেন মি. মাসউদ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি এখন মাস্টার্সের সমমানের মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কেন পরিবর্তন আনা হচ্ছে বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় পড়ছে কারা? বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় কী পড়ানো হয়? বাংলাদেশে কওমী ডিগ্রি নিয়ে ইসলামী দলগুলোতে মতপার্থক্য কীভাবে পরিচালিত হয় কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃতি তো অনেক আগেই, এখন সংবর্ধনা কেন? এর অন্যতম উদ্যোক্তা মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের কাছে বিবিসি বাংলার সাইয়েদা আক্তার জানতে চেয়েছিলেন, দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমানের স্বীকৃতি তো অনেক আগেই দেয়া হয়েছে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে এখন কেন সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে? কওমী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পায়। জবাবে তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসার একটা বিরাট অংশের জন্য এটা ছিল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। তারা দীর্ঘদিন এ স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত ছিল। নজিরবিহীনভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ স্বীকৃতি দিয়েছেন সেজন্যই তাকে এ কৃতজ্ঞতা । "হাদিসে আছে যে মানুষের প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করে না সে আল্লাহরও শুকরিয়া জ্ঞাপন করে না। এজন্য এ অনুষ্ঠানের নামকরণ হয়েছে শোকরানা মাহফিল।" বার্তা: 'ব্যক্তি শেখ হাসিনার ওপর আস্থা' নির্বাচনের আগে ১০ লাখ লোকের এত বড় সমাবেশ করে তারা কি কোন বার্তা দিতে চাইছেন? এ প্রশ্নের জবাবে মি. মাসউদ বলেন, আলেমদের এত বড় জমায়েত তো দেশবাসীকে বার্তা দেবেই - এটা তো স্বাভাবিক। সেই বার্তাটা কি তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সেটা হলো ব্যক্তি শেখ হাসিনার ওপর আস্থা। যে তিনি যা ওয়াদা করেন তা রক্ষা করেন। ২০১৫ সালের এক জরিপে দেখা যায় কওমী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লক্ষের কাছাকাছি। তাহলে কি তারা আওয়ামী লীগের প্রতি এক ধরণের সমর্থন জ্ঞাপন করবেন এ সমাবেশে? জবাবে মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসউদ বলেন, এটা পার্টি বা রাজনীতির হিসেবে সমর্থন নয়, সেটা হলো ব্যক্তি শেখ হাসিনার ওপর আস্থা। যে তিনি যা ওয়াদা করেন তা রক্ষা করেন। এত বিশাল সংখ্যক মানুষের একটি সমাবেশ সরকার হতে দিচ্ছে যা অনেক রাজনৈতিক দলকেই দেয়া হয়নি, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার একটি বার্তা লোকে পাবে। এর অর্থ কি এই যে নির্বাচন পর্যন্ত এ ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘায়িত হবে? বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার সংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। এ প্রশ্নের জবাবে মি. মাসউদ বলেন, এটা মৌলিকভাবে কোন রাজনৈতিক সভা নয়, রাজনৈতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে এ সভা করা হচ্ছে না। সুতরাং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কি কারণে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বা দিয়েছে- সেটা এখানে ভিন্ন কথা। কারণ এটা একটা ধর্মীয় সমাবেশ - স্বাভাবিক ভাবেই এর অনুমোদন হতেই পারে। কোন রাজনৈতিক স্বার্থের সাথে এটাকে সংশ্লিষ্ট করাটা মনে হয় ঠিক হবে না। তবে তিনি বলেন, "মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, রাজনীতি তার জীবনের অঙ্গ - তাই কেউ হয়তো রাজনৈতিক বার্তা পেতেও পারে। কিন্তু এটা তার উদ্দেশ্য নয়।" নির্বাচনের আগে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভোট আকর্ষণের ক্ষেত্রে এ সমাবেশ কি একটা ভুমিকা রাখবে? "এটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়, জনগণ হয়তো এরকম ইঙ্গিত পেতেও পারে। কিন্তু এটা এই সমাবেশের উদ্দেশ্য নয়।" আরো পড়ুন: মাদ্রাসার কর্মসূচিতে পেছালো ২৭ লাখ শিশুর পরীক্ষা নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে সন্দেহ আওয়ামী লীগের
হেফাজতে ইসলামের নেতা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের সমাবেশ হয়েছে সকালে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তান তাদের অংশে কাশ্মীরে ভারতের একটি বিমান ভূপাতিত করেছিলো। পাকিস্তান দাবি করছে, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে 'এই মাসের ভারত আবারো পাকিস্তানে হামলা চালাবে'। ভারত যদিও বলছে পাকিস্তান 'যুদ্ধ বিষয়ক হিস্টিরিয়ায়' আক্রান্ত। পাকিস্তান কী বলছে? পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী রোববার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি সম্ভাব্য হামলার একটি নিদিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন। মি. কোরেশী বলেন, "পাকিস্তানের উপর আক্রমণের একটা আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছ সেই অনুযায়ী এই হামলা এপ্রিলের ১৬ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময়ে হতে পারে।" আরো পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান: পারমাণবিক অস্ত্রে কে এগিয়ে? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার যে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে তিনি 'যথেষ্ট দায়িত্ব' নিয়েই এই অভিযোগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, 'কূটনৈতিক চাপ' বাড়ানোর জন্যেই এটা করা হতে পারে। ভারতের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেদেশে ভারতের হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী বলছেন, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ভারতের যা জবাব ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, পাকিস্তান 'যুদ্ধ বিষয়ক হিস্টিরিয়ায়' ভুগছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, পাকিস্তান 'পরিষ্কারভাবে এই অঞ্চলে যুদ্ধ ভীতি তৈরি করতে চায়।' তিনি বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে বলেন, "এই লোক দেখানো বিষয়টি দিয়ে পাকিস্তান তার দেশের জঙ্গিদের ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর আহবান জানাচ্ছে।" ভারত বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তান সেদেশে জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের আশ্রয় দিয়ে আসছে, যাদের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জন্য দায়ী করে ভারত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা যে ঘটনাকে কেন্দ্র নতুন উত্তেজনার শুরুটা ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জনেরও বেশি ভারতের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে। ভারত বলছে, পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিদের কাজ এটি। এরপর দুদেশের সম্পর্ক আবারো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরপর ভারত তার জবাব দেয় পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে। তারা দাবি জানায়, পাকিস্তানের ভেতরে জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল তাদের হামলার লক্ষ্য। এর পরপরই পাকিস্তান পাল্টা দাবি করে তারা তাদের অংশে কাশ্মীরে ভারতের একটি বিমান ভূপাতিত করে এবং তার পাইলটকে বন্দি করে। সেই পাইলটকে ঘটা করে আবার ভারতের কাছে ফেরতও দেওয়া হয়। কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তানকে বিভক্তকারী 'লাইন অফ কন্ট্রোল' বা নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোন বিমান হামলা ছিল এটি। অন্যান্য খবর: বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে কেন এত অভিযোগ? ভারতের নির্বাচন: হোয়াটসঅ্যাপে ফেক নিউজের ঝড় মার্কিন বীর যোদ্ধা একজন নারী ছিলেন?
পাকিস্তান অভিযোগ করছে যে ভারত নতুন করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো ষড়যন্ত্র করছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ঢাকার বাজারে বিদেশ থেকে আসা ইলিশের মত দেখতে মাছ সংস্থাটি দাবি করছে, বাংলাদেশের বাজারে যেসব মাছ আসে সেসব মাছের মধ্যে সীসা বা লেড এবং ক্রোমিয়াম ও পারদ রয়েছে যেটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ঢাকার মাছের বাজারে ইদানিংকালে বিদেশ থেকে আমদানি করা মাছ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। মাছের মধ্যে ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক থাকার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাছ-বিক্রেতারাও । ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ঢাকার অভিজাত একটি এলাকায় মাছের বাজারে ওঠে নানা ধরণের মাছ, বিক্রেতারাও খদ্দের আকৃষ্ট করতে নানাধরনের প্রলোভন দেখান। প্রায় সব বিক্রেতার মুখেই শোনা গেল এগুলো নদীর মাছ, পুকুরের মাছ এবং অবশ্যই দেশি। কিন্তু কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে জানতে পারলাম এই বাজারে বিদেশি মাছও রয়েছে। একজন দোকানি তার দোকানে থাকা দুইটি বড় সাইজের বার্মিজ রুই দেখিয়ে বলছিলেন অনেক ক্রেতাই দেশি আর বিদেশি মাছের পার্থক্য বোঝে না। একজন বিক্রেতা বলছেন "মনে করেন দেশি মাছের দাম বেশি, বিদেশি মাছের দাম কম। বেশি দামে মাছ কিনতে চায় না তারা। আমাদেরও বেচার জন্য তখন বিদেশি মাছকে দেশি মাছ বলতে হয়।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানি কি সম্ভব? ট্রাম্পের পাল্টা হুমকি- আমার সুইচ তোমার চেয়ে বড় বাংলাদেশ মূলত ওমান, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ভারত মিয়ানমার থেকে মাছ এবং মাছ-জাত পণ্য আমদানি করছে। রুই, বোয়াল মাছ যেমন আসছে, তেমনি ইলিশ মাছের মত দেখতে চন্দনা বা চান্দিনা নামের এক ধরণের মাছ আসছে যেটা আসলে ইলিশ না। অনেক ক্ষেত্রে পহেলা বৈশাখকে টার্গেট করে এই নকল ইলিশ মাছ বাংলাদেশের বাজারে আসে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব মাছের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সরকারের একটি সংস্থা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা মাহবুব কবির মিলন বলেছেন, এই মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে এতে ক্ষতিকর যেসব রাসায়নিক রয়েছে যেটা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকির কারণ। "বাজারে যে মাছগুলো রয়েছে সেগুলোতে হেভি মেটাল পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো মারাত্মক। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে যে লিমিট ঠিক করে দেয়া আছে সেটা হল ০.৩ ??। কিন্তু আমরা মাছ টেস্ট করে পেয়েছি চার,পাঁচ গুণ বেশি রাসয়নিক। এই জিনিসগুলো তো আমাদের শরীরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।" ঢাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বার্মিজ রুই। এসব মাছের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাছ-বিক্রেতারাও। বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, বছরে প্রায় গড়ে ৫০,০০০ টন মাছ বাংলাদেশ আমদানি করে। জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা বলছে, বাংলাদেশ ২০০০ সালে প্রায় ২৬ কোটি টাকার মাছ এবং মাছ জাত দ্রব্য আমদানি করেছে। ২০১৫ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। কীভাবে মাছ গুলো এতটা দূষিত হচ্ছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মো.মনিরুল ইসলাম বলছেন, মাছ চাষের পদ্ধতির ওপর দূষণের মাত্রা নির্ভর করে। "এটা নির্ভর করছে যেদেশ থেকে মাছ আনছে সেদেশে চাষ পদ্ধতিটা কী ধরণের তার উপরে। সীসার মাত্রা যেহেতু বেশি তার মানে পানি এবং মাছের খাবারে ভেজাল ছিল। এই মাছ গুলো যদি না খেয়ে ফেলে দেয়া হয়, সেটাও পরিবেশের ক্ষতি করবে," বলেন মি: ইসলাম। এদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ চিঠিতে আমদানিকৃত এসব মাছের চালান ল্যাবরেটরি টেস্টের ফলাফল ছাড়া খালাস না করার আহ্বান জানিয়েছে। ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত বিদেশি মাছ চিনতে না পারার ব্যাপারে এবং এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে আমদানিকৃত সব প্রকার মাছ বন্দর থেকে খালাসের আগে অ্যাটমিক এনার্জি সেন্টার, বিসিএসআইআর, বা ফিশ কন্ট্রোল ল্যাব, থেকে পরীক্ষা করে লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারির পরিমাণ মৎস্য অধিদফতর কর্তৃক নির্ধারিত মাত্রার ভেতর পাওয়া গেলে তবেই মাছ খালাসের অনুমতি প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বাজারে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সব মাছ শতভাগ পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কেপটাউনের চারদিকেই পানি কিন্তু এর খুব কমই পানযোগ্য মোহাম্মেদ আলীঈ'র বাসা। ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণে সহায়তা করছে তার মেয়ে আর এসব কারণেই বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রে থাকা জায়গাগুলোর মধ্যে এটিও একটি। কিন্তু খুব সহসাই এ শহরটির 'বিখ্যাত' হয়ে উঠতে পারে আরও একটি কারণে, আর সেটি হলো সম্ভবত কেপটাউনই হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম পানি হীন শহরে। আরও পড়ুন আইপিএল নিলামের বিস্ময় কে এই নেপালি তরুণ? ‘যখন বুঝতে পারলাম আমার বিয়ে হয়েছে এক নপুংসকের সঙ্গে’ খালেদা মামলার রায়কে ঘিরে কেন এত শঙ্কা-বিতর্ক? সাম্প্রতিক উপাত্তগুলো আভাস দিচ্ছে যে মার্চের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে কেপটাউনের অধিবাসীরা কিংবা ভ্রমণরত পর্যটকরা। এ সংকট বা সমস্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে গত তিন বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে দিনে দিনে শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরের প্রায় চল্লিশ লাখ অধিবাসীকে সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে তাও আবার দিনে কোনভাবে ৮৭ লিটারের বেশি নয়। খাবার, গোসল, টয়লেট কিংবা আনুষঙ্গিক সব দরকারের জন্যই এটুকু বরাদ্দ। গাড়ী ধোয়া বা সুইমিং পুলে পানি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেশনের পানি নেয়ার জন্য এভাবেই ভীড় করে মানুষ কেপটাউনেই বসবাস করেন বিবিসির মোহাম্মেদ আলীঈ। এই ভয়াবহ পানি সংকটের মধ্যে জীবন কেমন চলছে-তার একটি বিবরণ দিয়েছেন তিনি নিজেই। "আমার স্ত্রী এখন আর শাওয়ার নেন না। তিনি দেড় লিটারের মতো পানি ফুটিয়ে তার সাথে এক লিটারের মতো টেপ ওয়াটার মিশিয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করেন। আবার একবার ব্যবহৃত পানি আমরা সংরক্ষণ করি টয়লেটে ব্যবহারের জন্য"। তিনি জানান কেপটাউনের অন্য অধিবাসীদের মতোই তার পরিবারের চার সদস্যও সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সন্তানরা গোসল সারে মাত্র দু মিনিটের মধ্যে। তীব্র খরার সময় পানি ব্যবহারের সীমা ৫০ লিটারে নামিয়ে আনেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সব প্রচেষ্টা আসলে ডে-জিরোকে বিলম্বিত করা। পানির মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কেপটাউনের মানুষ পানি সংকট নিয়ে ক্ষোভও বাড়ছে কেপটাউনের অধিবাসীদের মধ্যে ডে-জিরোর নির্ধারণ হয়ে আছে ১২ই এপ্রিল, যেদিন কেপটাউনের পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু ৫০ লিটার পানি ব্যবহার মাত্র- এটি সত্যিই কঠিন সেখানকার মানুষের জন্য, কারণ সাধারণত একবার শাওয়ার বা গোসলের সময় প্রতি মিনিটে দরকার হয় ১৫ লিটার পানি। কিংবা টয়লেটে ফ্ল্যাশে প্রতিবার দরকার হয় ১৫ লিটারের মতো পানি। কেপটাউনের পানি বিষয়ক তথ্য: পানি ব্যবহারের সীমা: প্রতি অধিবাসী ৮৭ লিটার, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ লিটার। ডে জিরো: ১২ এপ্রিল ডোমেস্টিক ব্যবহার: ৭০% পানিই গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার হয় প্রয়োজন ছাড়া টয়লেট ফ্ল্যাশ নয়, প্রতি ফ্ল্যাশে লাগে ১৫ লিটার পানি। শাওয়ার বা বেসিনে ব্যবহৃত পানি টয়লেট,গাড়ী ধোয়া বা বাগানের কাজে ব্যবহার। পানির এমন সংকটের সাথে মানুষ যেমন অভ্যস্ত হচ্ছে তেমনি এ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ অভিযোগও।
বিশ্বখ্যাত টেবিল মাউন্টেন বা টেবিলের মতো পর্বত, আফ্রিকান পেঙ্গুইন, সাগর ও রোদের উজ্জ্বলতার শহর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
৫০ বছর যাবত ওমানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেন ১৯৭০ সালে ব্রিটিশদের সহায়তা নিয়ে তিনি তাঁর পিতাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর দেশটির তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তিনি ওমানকে উন্নয়নের পথে আনেন। সুলতান কাবুস ওমানের জনগণের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তার হাতেই ছিল সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র। যে কোন বিরোধী মতকে তিনি কঠোরভাবে দমন করতেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তাঁর চাচাতো ভাই হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ এখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি ওমানের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সুলতান কাবুস-এর মৃত্যুর পর রাজপরিবারে এক বৈঠক হয় এবং তারপর শপথ গ্রহণ করেন হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ। ওমানে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে সুলতানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। ওমানের সুলতান একাধারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী,সামরিক বাহিনী সর্বাধিনায়ক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সুলতান কাবুস-এর কোন উত্তরাধিকারী নেই। তাঁর উত্তরাধীকারী হিসেবে তিনি কাউকে নির্বাচনও করেননি। চিকিৎসার জন্য গত সপ্তাহে তিনি বেলজিয়াম গিয়েছিলেন। তখন খবর বেরিয়েছিল যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিরপেক্ষ নীতি গত প্রায় পাঁচ দশক যাবত সুলতান কাবুস ওমানের রাজনীতি একচ্ছত্র ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওমানের জনসংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ, যার মধ্যে ৪৩ শতাংশ বিদেশী নাগরিক। ২৯ বছর বয়সে তিনি তার বাবা সাঈদ বিন তৈমুরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তারা বাবা ছিলেন ভীষণ রক্ষণশীল। তিনি ওমানে অনেকে বিষয় নিষিদ্ধ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল - রেডিও শোনা এবং সানগ্লাস নিষিদ্ধ করা। ওমানে কে বিয়ে করতে পারবে, কে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, এমনকি কে দেশত্যাগ করবে - এসব কিছুর সিদ্ধান্ত তিনি দিতেন। পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুলতান কাবুস ওমানে আধুনিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন। তখন ওমানে মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং তিনটি স্কুল ছিল। সুলতান কাবুস তখন ঘোষণা করেন, দেশটির তেল সম্পদ কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের আধুনিকায়ন করবেন। আরো পড়তে পারেন: বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ স্বীকার করেছে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস টার্গেট করেছিল ইরান, ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর সুলতান কাবুসের পিতা সাঈদ বিন তৈমুর। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যেই ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে ওমানের দক্ষিণাঞ্চলে উপজাতিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমন করেন। সুলতান কাবুসকে মনে করা হতো একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সালে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পর্দার আড়ালে আলোচনার সূত্রপাত করাতে ভূমিকা রাখেন সুলতান কাবুস। সে ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি হয়েছিল। সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী শাসন ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় ওমানেও কিছু অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেশটিতে বড় ধরণের কোন বিক্ষোভ হয়নি। কিন্তু ওমানের বিভিন্ন জায়গায় হাজার-হাজার মানুষ ভালো মজুরির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবির মধ্যে আরো ছিল অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা। তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ওমানের সমৃদ্ধি এনেছেন সুলতান কাবুস নিরাপত্তা বাহিনী প্রথম দিকে সে বিক্ষোভের প্রতি কিছুটা নমনীয় ভাব দেখিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং তাজা গুলি ছুঁড়েছে। তখন দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। 'বেআইনি সমাবেশ' এবং 'সুলতানকে অপমান' করার অভিযোগে শতশত মানুষকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে সক্ষম না হলেও সুলতান কাবুস পরবর্তীতে, দুর্নীতিবাজ বলে মনে করা হয় এবং একই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রিত্বে থাকা কিছু ব্যক্তিকে সরিয়ে দেন। তিনি সরকারি চাকরির সুযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন। তখন থেকে কর্তৃপক্ষ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বন্ধ করে দেয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তখন বিভিন্ন বই বাজেয়াপ্ত এবং মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানিও করা হয়।
আরব বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাসক ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর উদ্দেশ্য কী ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি? যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, তারা ইরানের দিক থেকে বেশ কিছু হুমকির মোকাবেলায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। মার্কিন সরকারের কিছু সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় সেখানে এই রণতরী পাঠানো হয়েছে। মিস্টার বোল্টন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে তারা যে কোন হামলা নির্মম শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করবেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন এবং একটি বম্বার টাস্ক ফোর্স মোতায়েন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের কাছে একটি স্পষ্ট এবং সন্দেহাতীত বার্তা পৌঁছে দেয়া। যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বা তার মিত্রদের কোন স্বার্থে আঘাত হানে, তাহলে সাথে সাথে নির্মম শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে এর জবাব দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধাতে চায় না। কিন্তু আমরা যে কোন হামলা মোকাবেলায় পুরোপুরি প্রস্তুত। সেটি ছায়া যুদ্ধই হোক, বা ইসলামিক রেভ্যুলেশনারী গার্ড বা নিয়মিত ইরানী বাহিনীর হামলাই হোক।" ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন: আগে থেকেই এটি ইউরোপে যুদ্ধের মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল। একটি যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য এই মার্কিন রণতরী গত এপ্রিল থেকেই ইউরোপে ছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন মোতায়েনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। কিন্তু এবার রণতরী পাঠানোর ঘটনা ঘটলো এমন এক সময় যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফা ভাবে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। ২০১৫ সালে এই চুক্তিটি হয়েছিল। যুদ্ধ প্রস্তুতি? ইরানের দিক থেকে এমন কী হুমকি তৈরি হলো যে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র একটি রণতরী পাঠিয়ে দিল উপসাগরীয় অঞ্চলে? ইরানের দিক থেকে কথিত এই হুমকির ব্যাপারে খুব কম তথ্যই যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করেছে। গত কিছুদিন ধরেই আসলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর একটা কৌশল নিয়েছে। তারা ইরানের রেভ্যুলেশনারী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করেছে। ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে। বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জোনাথান মার্কাস বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আসলে কী করতে চায় তা স্পষ্ট নয়। একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র বলছেন, তারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না। কিন্তু অন্যদিকে ইরানের সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন কাউকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে তাদের উৎসাহ কিন্তু চাপা থাকছে না। নিষেধাজ্ঞার ফলে ডলারের বিপরীতে ইরানি মূদ্রার মান পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র কি বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে ইরান আছে, সেটিকেই বজায় রাখতে চায়? নাকি ইরানকে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়? আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ইরান সংকট কি যুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানকে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচাতে পাঁচ দেশের চেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা আশংকা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের যে দামামা বাজানো শুরু করেছে, দুর্ঘটনাবশত বা পরিকল্পনামাফিক সেরকম একটি যুদ্ধ বেধে যাওয়া অসম্ভব নয়। পরমাণু চুক্তি ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাবান দেশগুলোর যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, তার লক্ষ্য ছিল ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে তার পরমাণু কর্মসূচী ব্যবহার করতে না পারে। এই চুক্তির অধীনে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচী সীমিত করতে এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের সেগুলো পরিদর্শন করতে দিতে রাজী হয়। এর বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছে। ইরানী মূদ্রার মান পড়ে গেছে। তাদের মূদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। সেখানে জন অসন্তোষ বাড়ছে এবং অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ইরান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করেই মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে ইরানকে হুঁশিয়ার করে দেয়ার জন্য।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৭২ সালে বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেবার সময় তোলা ছবি) এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, সরকার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দল বা সংগঠনের সাথে আওয়ামী লীগের সমঝোতার রাজনীতির সুযোগ নিয়ে তারা এখন শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের ওপরই আঘাত করছে। যেটা আওয়ামী লীগের জন্যই বিব্রতকর বলে তারা মনে করেন। আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের ভাস্কর্য অপসারণ চায় হেফাজত সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদ, পুলিশের অ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় মোড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল কয়েকদিন আগে ঐ এলাকায় সমাবেশ করেছে। এই দলগুলো শেখ মুজিবের ভাস্কর্যকে 'মূর্তি' আখ্যা দিয়ে এর নির্মাণ বন্ধ করা না হলে আরও কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে যদিও আওয়ামী লীগের সমমনা কিছু সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করেছে এবং আওয়ামী লীগের দু'একজন নেতা নিজেদের মতো করে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক ছিলেন। তিনি এটুকুই বলেছেন যে, বিষয়টা সরকার পর্যবেক্ষণ করছে। দলটির সাথে ঘনিষ্ট বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নিয়ে আঘাত আসার পরও আওয়ামী লীগের সতর্ক অবস্থান অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু প্রবল বিক্ষুব্ধ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়েই ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়টি এনেছিলেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিষয়কে এনেছিলেন। এখন আজকে যদি আমরা যারা অগ্রসরমানতার কথা বলি, নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি, তারা যদি পিছিয়ে যান, সেটা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে বলে আমি মনে করি।" বিশ্লেষকদের অনেকে আবার পরিস্থিতিটাকে আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির বা বিব্রতকর বলে মনে করেন। তারা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের সাথে আওয়ামী লীগের সখ্যতা এবং ধর্মভিত্তিক দল বা বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সমঝোতা করে চলা - এই সুযোগ নিয়েই তারাই আওয়ামী লীগের স্পর্শকাতর বিষয়ে আঘাত করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবায়দা নাসরিন বলেন, পরিস্থিতির দায় আওয়ামী লীগের ওপরই বর্তায়। "আমার কাছে মনে হয়, আওয়ামী লীগ ইসলামী দলগুলোকে আশকারা দিয়ে এপর্যায়ে এনেছে যে এখন আওয়ামী লীগের খোদ নিজের ঘরেই সাপ ঢুকেছে।" তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ যে কারণে আশকারা দিয়েছে, সেটা হচ্ছে ভোট এবং ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখার জন্য। সেই জায়গায় নিতে নিতে আওয়ামী লীগ এখন এর ফল ভোগ করছে সবচেয়ে বেশি। কারণ আওয়ামী লীগের এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে তারা না পারছে হজম করতে, তারা না পারছে বমি করে ফেলে দিতে।" বিশ্লেষকরা এটাও বলেছেন, বাংলাদেশে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা নতুন বিষয় নয়। তিন বছর আগেও ২০১৭ সালে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে গ্রীক দেবীর আদলে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের বিরোধীতার মুখে সেই ভাস্কর্য সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে গ্রীক দেবীর আদলে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের বিরোধীতার মুখে সেই ভাস্কর্য সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এখন ইসলামপন্থী যে দলগুলো ঢাকার ধোলাইপড়ে শেখ মুজিবে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে, তার মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ইসলামী শরিয়তের বিরুদ্ধে কিছু করবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটাই তারা এখন মনে করিয়ে দিয়েছেন। "আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে সে কিন্তু একটা কথা বলেছিলো যে শরিয়া বিরোধী কোন আইন সে পাস করবে না এবং শরিয়া বিরোধী কোন পদক্ষেপ সে গ্রহণ করবে না।" তিনি ভাস্কর্য এবং মূর্তির মধ্যে কোন পার্থক্য মানতে রাজি নন। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: "ভাস্কর্য এবং মূর্তি একই বিষয়। যেহেতু ইসলামী শরিয়ত এটাকে সমর্থন করে না, সে হিসাবে আমরা এটার প্রতিবাদ করেছি। আর সাথে আমরা বলেছিলাম, শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা বা অবদান, এ ব্যাপারে তার জন্য দোয়া এবং তার রুহের মাগফেরাতের জন্যে আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত একটা মিনার বা ঐ ধরনের একটা স্মৃতি যদি তৈরি করা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে তার রুহের ওপর সোয়াব পৌঁছুতে থাকবে।" ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের এমন বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বগুড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় দলটির কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। তারাও মনে করেন, এটি তাদের দলের নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তারা আশার করেন, সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সিনিয়র মন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তাদের দলের উচ্চপর্যায়েও বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, বিষয়টি তাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলেনি। "সখল ধর্মকেই আমরা সমান সম্মান করি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বিচার করার কোন সুযোগ নাই। এটা শিল্প। আমরা মনে করি না যে সরকার কোন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। কেউ যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে এটা প্রচার করে বা ধর্মীয় দিক থেকে অপব্যাখ্যা দেয় - তা ঠিক হবে না।" আওয়ামী লীগের আরও একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, তারা মনে করেন, বিষয়টাতে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধের জন্য ইসলামপন্থী কয়েকটি দল যে দাবি তুলেছে, তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে দলটির ঘনিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সিঙ্গাপুরের থেকে বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীররাতে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের কাছে খবর আসে যে ৩০-বছর বয়সী একজন লোক কজওয়ের কাছের পাইপলাইনের দিকে সাঁতার কেটে যাচ্ছে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে অভিবাসন এবং কোস্টগার্ড পুলিশের কর্মকর্তারা তাকে পানির পাইপলাইনের নীচে খুঁজে পায়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। কর্মকর্তারা এরপর কর্মকর্তারা উডল্যান্ড ওয়াটারফ্রন্ট এলাকায় দেখতে পান যে একটি বেড়ার গায়ে নীল জিনসের প্যান্ট ঝুলছে। তখন আরেক দফা তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৩৪ ও ৩৭ বছর বয়সী দু'জন বাংলাদেশীকে দেখতে পায়, যারা প্রথম ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছিল। এরপর পুলিশ এই দুজনকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে ভিসার মেয়াদ পার হওয়ার পরেও সেখানে থাকছিলেন, তবে পরে তিনি অবৈধভাবে সেদেশ থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন পানি পথ। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সিঙ্গাপুরে থাকা কিংবা অবৈধভাবে সেদেশে ঢোকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছয়মাসের জেল কিংবা তিনটি বেত্রাঘাতের দণ্ড দেয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, প্রথম ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর ত্যাগে সাহায্য করার অপরাধ প্রমাণিত হলে বাকী দু'জনের ছয়মাস থেকে দুই বছরের জেল এবং ৬,০০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সাঁতার কেটে সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পাঁচ ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থী মনে করেন যে তাদের শিক্ষা চাকরি পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, বিআইজিডি এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ জরিপটি চালায়। সারা বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী চার হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা যায় যে, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটার ও ইংরেজি ভাষায় আত্মবিশ্বাসী মাত্র ১৬ শতাংশ। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ মনে করেন যে, তাদের শিক্ষা চাকরি পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। জরিপের গবেষকদের একজন নিম্মি নুসরাত হামিদ বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশই তরুণ-তরুণী, যারা আগামীতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। "তাই এই তরুণদের চাওয়ার পাওয়া বা সমস্যার বিষয়গুলো জানতে এবং কোন ধরণের ক্ষেত্রগুলোয় কাজ করলে তাদের সুবিধা হবে- সেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে গবেষণাটি বেশ সময়োপযোগী।" আরো পড়ুন: চাকরির এই পরীক্ষায় পাশ করবেন তো? বাংলাদেশে সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ বাড়ার কারণ কী মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হ্যাট ওড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। (ফাইল ছবি) বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আজকালকার তরুণরা কোন দিকটায় ভাল, তারা কোন বিষয়গুলো নিয়ে বেশি ভাবে সেই ব্যাপারে তাদের মতামত জানাটা জরুরি।" গবেষণা পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা গেছে, শুধুমাত্র চাকরি নয়, কেউ যদি উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে তারা ব্যবসা করার পুঁজি কোথা থেকে পাবে, এমনকি নিজেদের চাহিদাগুলোর ব্যাপারে বেশিরভাগ তরুণ সচেতন না বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মিজ হামিদ। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের যুব সমাজ স্কুল কলেজে যে শিক্ষা পাচ্ছে, সেটা তাদেরকে কর্মজীবনের জন্য পরিপূর্ণ রূপে তৈরি করতে পারছে না।" "কেননা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরণের দক্ষতার শিক্ষার অভাব রয়েছে। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তারা যেই দক্ষতা অর্জন করছে সেই দক্ষতা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চাকরি নেই।" "আবার যেই চাকরিগুলো রয়েছে, সেগুলোয় ভাল করার জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন। সেই দক্ষতা আমাদের যুব সমাজের নেই," বলেন এই গবেষক। যেমন কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অথবা কারিগরি যেকোন ধরণের প্রশিক্ষণ। ২৪%তরুণদের কম্পিউটারে দক্ষতা আছে ১০%তরুণীদের কম্পিউটারে দক্ষতা আছে ২১%তরুণদের ইংরেজিতে দক্ষতা আছে ১৪%তরুণীদের ইংরেজিতে দক্ষতা আছে গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ১৪% তরুণ-তরুণী কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়েছে। আবার এই দক্ষতার মাপকাঠিতে দক্ষ তরুণের হার ২৪%- অর্থাৎ তারা তাদের কম্পিউটারে দক্ষতার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। অথচ নারীদের কম্পিউটারে দক্ষতার হার মাত্র ১০%। অন্যদিকে ইংরেজিতে দক্ষতায় এগিয়ে ২১% তরুণ। যেখানে নারীদের এই ভাষাগত দক্ষতার হার মাত্র ১৪%। অর্থ্যাৎ দক্ষতার দিক থেকে নারীরা এখনও অনেকটাই পিছিয়ে আছে। আরও পড়তে পারেন: চাকরির বয়স না বাড়ানোর পেছনে শেখ হাসিনার যুক্তি কেন শীর্ষ তালিকায় নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ছাপানো পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হচ্ছে! দক্ষতার দিক থেকে এখনও পিছিয়ে আছেন বাংলাদেশের নারীরা। এই ব্যবধান শহরের চাইতে গ্রামে আরও বেশি চোখে পড়ে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, স্কুলে শিক্ষার মান তেমন উন্নত হয়। আবার যেসব স্কুলে মানসম্মত পড়ালেখা হয়, সেখানে ভর্তি হওয়ার মতো সুযোগ বা সামর্থ্য নেই অনেকের। গবেষণায় উঠে এসেছে, যেসব তরুণ-তরুণীরা এখনও লেখাপড়া করছেন, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে পড়াশোনা শেষে দেশের বাইরে যাওয়া। কারণ দেশে থেকে কিছু করার ব্যাপারে তারা একদমই আশাবাদী না। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে চান সবচেয়ে বেশি। আবার যারা ইংরেজি ভাষা এবং কম্পিউটারে বেশ দক্ষ, তারা যেতে চায় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশে। এই দেশ ছাড়ার মূলে রয়েছে এই দেশের তরুণ সমাজের জন্য এখনও বড় ধরণের কোন রোল মডেল নেই। অন্তত ৫৪% শিক্ষার্থী তাই মনে করে। দেশে কর্মমূখী শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকারের নেটওয়ার্কিং বাড়িয়ে এই শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রের যুক্ত করতে আরও দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন মিজ হামিদ। "সরকারি চাকরি তো সবাই করে। কিন্তু সরকারি চাকরির বাইরেও এই তরুণদের আরও অনেক সম্ভাবনাময় সুযোগ রয়েছে সেগুলো তাদের খুঁজে দিতে হবে।" "তরুণ-তরুণীদের হতাশার অন্যতম কারণ, তারা মনে করে যে তাদের কথাগুলো শোনার মত কেউ নেই। অথচ এই তরুণরাই আমাদের পথ দেখাবে।"
বাংলাদেশের স্কুল-কলেজগুলো থেকে তরুণ-তরুণীরা যে শিক্ষা পাচ্ছে, তাতে তারা কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এই মেয়েরা পণ করেছিলেন যে জানুয়ারি মাসে তারা তাদের শরীরের লোম কামাবেন না। তারা ছুঁড়ে ফেলেছিলেন রেজর এবং ওয়াক্সিং এর যত সামগ্রী। 'জানুহেয়ারি' পালনের শ্লোগান হলো: মেয়েদের শরীরেও তো লোম গজায় এবং এটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ব্যাপার। তাকে কামিয়ে ফেলতে হবে কেন? একে বাড়তে দিলেও তো হয়। লোমশ শরীরও যে নারীসুলভ হতে পারে এবং তা নিয়েও যে মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে পারেন - সেই বার্তাটা পৌছে দেয়াই ছিল এর লক্ষ্য। কিন্তু এর সমালোচকরা বলেছেন, ব্যাপারটা একেবারেই জঘন্য। যাই হোক, জানুয়ারী মাসে তাদের গায়ের লোম কামান নি এমন চারজন নারীর অভিজ্ঞতা শোনা যাক এখানে। এদের সাথে কথা বলেছেন বিবিসির মিলিসেন্ট কুক। সাবিন ফিশার সাবিন ফিশার, বয়স ১৮, নিউজিল্যান্ড "আমি যখন গায়ের লোম কামানো বন্ধ করে দিলাম - তখন আমার ঘনিষ্ঠ লোকেরা বলেছে, এটা একটা 'ঘৃণ্য' এবং 'অস্বাভাবিক' ব্যাপার। " "আসলে কিছু কিছু সমাজে রীতিমত মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে মেয়েদের গায়ে লোম থাকাটা 'অন্যায় এবং আজব' একটা ব্যাপার। " 'লোকে যখন দেখতে পায় যে আমার বগলে লোম, তারা তখন ওদিকেই আড়চোখে তাকাতে থাকে, আমার চোখের দিকে তাকায় না।" "কিন্তু আমি মনে করি যে শরীরের লোম খুব সুন্দর একটা জিনিস, এর সাথে আমার সৌন্দর্য এবং আত্মমর্যাদাবোধের কোন সম্পর্ক নেই।" ক্রিস্টাল মারচান্দ একজন ট্রান্সজেন্ডার ক্রিস্টাল মারচান্দ, ট্রান্সজেন্ডার, বয়স ৩২, কানাডা তিনি আগে ছেলে ছিলেন, পরে মেয়ে হয়েছেন। তবে তার মুখে দাড়ি রয়ে গিয়েছিল, এবং তা তিনি কামিয়ে রাখতেন। 'জানুহেয়ারি' মাসে ক্রিস্টাল সিদ্ধান্ত নেন, মেয়েতে পরিণত হবার পর এই প্রথম তিনি আবার দাড়ি রাখবেন। শুরু হলো দাড়ি গজানো। "আমাকে এর পর ভয়াবহ সব গালি দেয়া হয়েছে, একেবারে রাস্তাঘাটে। কেউ কেউ তো আমার দিকে তাকাতোও না।" জানুয়ারির মাঝামাঝি তাকে এত গুরুতর অপমানজনক অবস্থায় পড়তে হয় যে ক্রিস্টাল মারচান্দ আবার দাড়ি কামিয়ে ফেলতে বাধ্য হন। "আমি বুঝলাম আমি সীমা অতিক্রমের ঝুঁকি নিচ্ছি , এবং এ জন্য আমাকে হয়তো আমার প্রিয়জনদের হারাতে হতে পারে। কিন্তু আমি অন্তত এটা অনুভব করেছি যে দাড়ি রাখার কারণে আমার নারীত্বের বোধ একটুও কমে যায় নি। " সোনিয়া ঠাকুরদেশাই সোনিয়া ঠাকুরদেশাই, বয়স ১৯, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার "প্রথমে আমি বেশ ইত:স্তত করেছি, লোম না কামানোর সিদ্ধান্তটা ঠিক হলো কিনা এ নিয়ে। টুইটারে এ নিয়ে অনেককে নিন্দা এবং ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখেছি।এসব পড়ে আমার ভয়-ভয় লাগছিল।" "দেহের লোম বিষয়ে আমি খুব আত্মসচেতন ছিলাম। মনে হতো, এ নিয়ে কথা বলতে গেলে লোকে হয়তো আমাকে নোংরা বা রুচিহীন মনে করবে।" তবে এ নিয়ে এখন যে মেয়েরা কথা বলছে তাতে আমি স্বস্তি বোধ করছি । আমরা যে গায়ের লোম কামিয়ে ফেলি, তার কারণ কি - এই প্রশ্ন তুলতে পারছি।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রেজরের বিজ্ঞাপনে লোমশ নারী: কেন এত বিতর্ক দাড়ি রাখা কি পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? দাড়ির জনপ্রিয়তা দেখে গবেষণায় নামছেন অধ্যাপক লরা জ্যাকসন লরা জ্যাকসন, বয়স ২১, এক্সেটার "আমি যখন শরীরের লোম কামানো বন্ধ রাখলাম তখন আমার সাথে একজন মহিলার দেখা হলো, যিনি পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রমের রোগী এবং সে কারণে তার গায়ে লোম গজিয়েছিল।" তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিলেন এই বলে যে - তার নিজেকে 'একটা দানব' বলে মনে হতো - আমাকে দেখে সে অনুভুতিটা কমে গেছে। " "আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল ১৩ বছরের একটি মেয়ে - যার হাতে পায়ে অতিরিক্ত লোম ছিল। সে-ও আমাকে বলেছে,আমাদের আন্দোলন তাকে আনন্দে কাঁদিয়েছে কারণ সে উপলব্ধি করেছে যে সে একা নয়।" "এটা হওয়া দরকার ছিল, এবং আমি এ আন্দোলনের অংশ হতে পেরে গর্বিত।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মানুষের শরীরে দুর্গন্ধের রহস্য উন্মোচন নিজের কোঁকড়া চুল নিয়ে কি ভাবেন কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েরা?
জানুয়ারি মাসে অনেক দেশেই এবার মেয়েরা এক অভিনব আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তারা জানুয়ারি মাসকে নাম দিয়েছিলেন 'জানুহেয়ারি'। কারণ, এই মেয়েরা পণ করেছিলেন যে জানুয়ারি মাসে তারা তাদের শরীরের লোম কামাবেন না।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। কখন ও কিভাবে পড়লে বেশি মনে থাকে এবং পরীক্ষার জন্যে উপকারী হয়- তা নিয়ে নানা রকমের তত্ত্ব চালু আছে। ফলে ঠিক কী করলে ভাল হবে সেবিষয়ে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন ব্রিটেনে এক দল স্নায়ুবিজ্ঞানী। পরীক্ষার আগে পড়াশোনা বা রিভিশনের ব্যাপারে তারা একটি ফর্মুলা তৈরি করেছেন। এখানে এরকম কিছু টিপস তুলে ধরা হলো: ১. কখন পড়ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরীক্ষার আগে দিনের একই সময়ে পড়ার চেষ্টা করুন। তখন আপনি এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। ২. না বুঝে মুখস্থ করবেন না প্রতি দিনই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর অল্প অল্প করে পড়ার চেষ্টা করুন। উত্তর মুখস্থ না করে বরং সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। পরীক্ষা দিচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ৩. উদ্দীপক কিছু করুন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিন্তা করার সময় নিজের দুটো কান ধরে হালকা করে টানুন কিম্বা লেবুর গন্ধ নিন। অথবা এরকম কিছু করুন যাতে আপনি খুশি হবেন কিম্বা যা আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে। এবং পরীক্ষার দিন ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। ৪. বেশি রাত পর্যন্ত পড়বেন না রাত ন'টার পর পড়া ঠিক হবে না। এই সময়ের পর পড়া বন্ধ করে দিন। বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু রিলাক্স করুন। তার আগে কম্পিউটারের মতো স্ক্রিন দেখা থেকে বিরত থাকুন। এটা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আরো পড়তে পারেন: আফগান যে নারীকে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট
আপনি কি পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? ছাত্রজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটির জন্য কিভাবে তৈরি করছেন নিজেকে?
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সংবাদ সম্মেলনে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে আব্দুল মোমেনের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে ব্রিফিং-এ তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো আসামে যে ৪০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছে সেটি বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে কিনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি সংবাদদাতা আকবর হোসেন। তিনি জানান, এই প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়"। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তার সাথে ছিলেন, তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যদিও অতীতে বিভিন্ন সময় বিজেপির প্রভাবশালীরা নেতারা বলেছিলেন যে আসামে যে নাগরিক তালিকা করা হয়েছে তাতে যারা বাদ পড়েছে তারা অবৈধ বাংলাদেশী এবং তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। দু দিনের সফরে মিস্টার জয়শঙ্কর গত রাতে ঢাকায় এসেছেন এবং আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে তার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে নিরাপত্তা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কিভাবে ভারত বাংলাদেশের অংশীদার হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গা বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার- তিন দেশের স্বার্থেই দরকার বলে তার দেশ মনে করে। আসামের নাগরিকত্ব সংকট গত বছর ত্রিশে জুলাই আসামের খসড়া নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় তাতে প্রায় ৪০ লাখ স্থানীয় মানুষের নাম নেই। সেখানকার কর্তৃপক্ষ বলেছিলো রাজ্যটিকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করার কর্মসূচির আওতায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দ্য ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস বা এনআরসি নামে পরিচিত এই তালিকাটি ১৯৫১ সালে তৈরি করা হয়েছিলো এটা জানতে যে, কারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক এবং কারা প্রতিবেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছে। এই প্রথমবারের মত ঐ তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে যারা ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চ পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগে থেকেই নিজেদের আসামের বাসিন্দা প্রমাণ করতে পারে তাদেরকে ভারতের নাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ভারতের সরকারের দাবি, রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী শনাক্ত করতে এই তালিকা প্রয়োজন। গত জুলাইতে সরকার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করে যা অনুযায়ী আসামে বসবাসরত প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু ও মুসলিম বাঙালি। এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা চলতি মাসের শেষে প্রকাশের কথা রয়েছে। আসামে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ ৪০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব তালিকায় না থাকায় কি আত্মহত্যা বাড়ছে? বাংলাদেশের জন্য কি অর্থ বহন করে এনআরসি ইস্যু?
ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে যা হচ্ছে সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাদিক খান অবশ্য এই বাকযুদ্ধ পুরোটা অনলাইনে, কারণ মি. ট্রাম্পের এই সফরের সময় তার সাথে সাদিক খানের কোথাও সামনাসামনি দেখা হবে না। কয়েক দিন আগেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ''নারী ও ইসলাম সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভুল ধারণার'' তীব্র সমালোচনা করে তাকে ''বিংশ শতাব্দীর ফ্যাসিস্টদের'' সাথে তুলনা করেন। তা ছাড়া মি. ট্রাম্পের লন্ডনে অবতরণের দিনেই ব্রিটিশ পত্রিকায় সাদিক খানের একটি নিবন্ধ বেরোয় যাতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করেন। আর জবাবে মি. ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, সাদিক খান একজন ''স্টোন-কোল্ড লুজার'' অর্থাৎ এমন একজন লোক যিনি সব সময়ই পরাজিত হন। তিনি বলেন, মি. খানের উচিত লন্ডনে অপরাধ কমানোর দিকে নজর দেয়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটে সাদিক খানের পদবী ''খান'' শব্দটি লেখেন ভুল বানানে। তাতে তিনি বলেন, খান আমাকে আমাদের নিউইয়র্ক শহরের ''নির্বোধ এবং অযোগ্য'' মেয়র দা ব্লাসিও-র কথা মনে করিয়ে দেয় - যে তার কাজে মোটেও ভালো করছে না এবং তার উচ্চতা ব্লাসিওর অর্ধেক। লন্ডনে ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করে অতিকায় বেলুন ওড়ানোর অনুমতি দিয়েছিলেন মেয়র সাদিক খান মেয়র সাদিক খানের একজন মুখপাত্র প্রেসিডেন্টের এসব প্রতিক্রিয়াকে ''শিশুসুলভ'' বলে বর্ণনা করেন। অবশ্য বিল দা ব্লাসিও নিজে কিন্তু ট্রাম্পের এই সমালোচনার জবাবে সাদিক খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি পাল্টা এক টুইটে বলেন, তিনি সাদিক খানের একজন ভক্ত এবং তার সাথে তুলনা করা হলে তিনি সম্মানিত বোধ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাদিক খানের মধ্যেকার বৈরিতা বহু পুরনো। ২০১৬ সালে মি. ট্রাম্প লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খানকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যেন তিনি একটি আইকিউ বা বুদ্ধিবৃত্তির পরীক্ষা দেন। লন্ডন ব্রিজ ও বারা মার্কেটে ২০১৭ সালের সন্ত্রাসী আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাদিক খানের আচরণকে ''দু:খজনক'' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। জবাবে সাদিক খান বলেন, তিনি মি. ট্রাম্পকে লন্ডনের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবেন না। গত বছর জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সাদিক খান সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ কাজ করেছেন। সাদিক খান জবাবে বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এসব ''পাশবিক'' অভিযোগের কোন জবাব দেবেন না। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনে সতর্কতা: কতটা কাজ হবে? বাংলাদেশে যেখানে জমজমাট কাঁকড়ার ব্যবসা ঈদের ছুটিতে ব্যাংক, বুথ, কার্ড কতটা নিরাপদ? এর আগে মি. খান লন্ডনে মি. ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করে তৈরি একটি অতিকায় বেলুন লন্ডনে ওড়ানোর অনুমতি দেন। এতে মি. ট্রাম্পকে একটি বিকিনি পরা শিশু হিসেবে দেখানো হয়। একজন বিশ্লেষক নরম্যান স্মিথ বলছেন, ট্রাম্প ও সাদিক খানের এই ঝগড়ায় অবাক হবার কিছু নেই - কারণ মি. ট্রাম্প চিরাচরিত কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে পাত্তা দেন না। সাদিক খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প - কেউ কাউকে দু'চোখে দেখতে পারেন না। মি. ট্রাম্পও মনে হয় সাদিক খানের পেছনে লেগেই আছেন। তিন বছর আগে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকটি মুসলিম দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকেই এটা চলছে। লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা তার সফরের প্রতিবাদ জানাতে এবারও একটি মানবাকৃতির বেলুন ওড়াবেন, যাতে মি. ট্রাম্পকে এক অতিকায় ন্যাপি-পরা শিশু হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিরোধী দল লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতাসহ বেশ কিছু রাজনীতিবিদ মি. ট্রাম্পের সম্মানে দেয়া নৈশভোজ বয়কট করার কথা জানিয়েছেন। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে - যিনি আর কয়েকদিন পরই বিদায় নেবেন - এ সফরকে ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যেকার বিশেষ সম্পর্ক জোরদার করার এক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে আজ (সোমবার) যুক্তরাজ্য এসে পৌঁছানোর আগে থেকেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের সাথে নতুন করে শুরু হয়েছে তার বাকযুদ্ধ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
জার্কাতায় জরুরি আইন জারির পর জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন আড়াই লাখ ছুঁয়েছে। চীনে, যেখান থেকে করোনাভাইরাসের সূচনা, সেখানে দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের বলেছে ঘরের মধ্যে থাকতে। নিউইয়র্কের গভর্নর অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং সকল ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছেন। এশিয়ার দেশগুলিতেও নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে খালি হয়ে গেছে ব্রিটেনের একটি ব্যস্ত নৌবন্দর। মালয়েশিয়া ঘোষণা করেছে যে করোনাভাইরাস রোধে সহায়তার জন্য আগামী রোববার থেকে তারা সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব বলছেন, এই পদক্ষেপ নেয়া দরকার হয়ে পড়েছে, কারণ সামাজিকভাবে যোগাযোগ কমানের লক্ষ্যে যেসব নিয়ম রয়েছে মানুষ সেগুলো উপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, লোকজন এখনও তাদের পরিবার নিয়ে পার্ক, রেস্তোরাঁ ইত্যাদিতে যাচ্ছে। ধর্মীয় সমাবেশে সংক্রমণ মালয়েশিয়াতে প্রায় এক হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের সংক্রমণ ঘটেছে গত সপ্তাহে কুয়ালালামপুরে একটি ধর্মীয় সমাবেশ থেকে। আফ্রিকা জুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৮৫০ জনে। এক সপ্তাহ আগে আক্রান্তের মোট সংখ্যা থেকে এটি ছয়গুণ বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. যোয়েলি মাখিযে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, এর অর্থ এই না যে বেশিরভাগ মানুষের অবস্থা খারাপ হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলিতেও নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে সারা বিশ্ব যখন লড়াই করছে তখন এই রোগে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার অতিক্রম করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভারতের বিপক্ষে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে একদিন অংশ নেন সাকিব আল হাসান টেস্ট সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে তেসরা নভেম্বর। ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজটিতে এর আগে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের নির্বাচকেরা। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পরপরই যেহেতু ভারত সিরিজ, তাই এই সিরিজ নিয়েই আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ভেতর নিশ্চিতভাবেই একটা ধাক্কা লেগেছে বলে মনে করেন মুশফিকুর রহিম। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক বলেন, "'সাকিবের বিকল্প নেই। অবশ্যই তাকে মিস করব। সে আমাদের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়। তার জায়গায় যারা এসেছে তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ।" মুশফিকুর বাস্তবতার কথা বিবেচনা করে যোগ করেন, "সাকিব যদি চোটে পড়ত নিশ্চয়ই অন্য কেউ তার জায়গায় আসতো। এভাবেই দেখলে আমাদের ভালো হয়। ক্রিকেটে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। ভালো ফলই এসব পেছনে ফেলতে পারে।" টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, "অবশ্যই সাকিবকে মিস করব। সে বাংলাদেশ দলের অনেক বড় এক অংশ। সবাই ওর জন্য ব্যথিত। জানি সে আমাদের দলের জন্য, দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে একটা ভুল করেছে, অপরাধ করেনি। ওর প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। তাকে আগের মতোই ভালোবাসবো।" সাকিব যেসব সিরিজ মিস করবে সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর। তার পরের এক বছর স্থগিত দণ্ড। ফলে ২০২০ সালেই তিনি খেলায় ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি খেলতে পারবেন না মোট ১৩টি টেস্ট ম্যাচ, ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ ও ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অর্থাৎ মোট ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন ভারত সিরিজে সাকিব আল হাসান ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও ২টি টেস্ট ম্যাচ মিস করবেন। ২০২০ সালের শুরুতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ম্যাচ ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটি সিরিজ পরিকল্পনা চলছে। সেখানেও খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। ঠিক তার পরপর জিম্বাবুয়ে আসবে বাংলাদেশে, যেখানে একটি টেস্ট ম্যাচ ও ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ যা সাকিব আল হাসান মিস করবেন। এরপর ২০২০ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ড সিরিজে খেলতে যাবে বাংলাদেশ, সেখানে একটি টেস্ট ম্যাচ, ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ জুন মাসে খেলবে দুটো টেস্ট ম্যাচ। জুলাই মাসে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় সফর করবে, সেখানে রয়েছে তিনটি টেস্ট ম্যাচ। অগাস্টে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে এসে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে। ২০২০ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে এবং একই মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেখানে সাকিব আল হাসান স্কোয়াডে থাকতে পারবেন না, এর কারণ তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৯শে অক্টোবর। যদি কোনো ক্রিকেটার কোনো কারণে খেলতে না পারে সেক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান দলে ঢুকতে পারেন, কিন্তু কার্যত সেই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মাগুরায় নিজ বাড়ির সামনে সাকিব আল হাসান মাঠের ক্রিকেটে প্রভাব সাকিব টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পারফর্মার। টি-টোয়েন্টি দলে ভারত সিরিজে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে নেয়া হয়েছে তাইজুল ইসলামকে। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের একজন সদস্য ও একই সাথে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার সাথিরা জাকির জেসি বলেন, "তাইজুল হয়তো বোলিংটা করে দিতে পারবেন, কিন্তু সাকিব আল হাসানের যে অভিজ্ঞতা ও যে বুদ্ধিটা দিয়ে বোলিং করেন সেই জায়গাটায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। সাকিব ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন, ভারতের ক্রিকেটারদের বোঝেন সাকিব। তাই প্রতিপক্ষের মনোজগৎ বিশ্লেষণের জায়গাটায় অভাববোধ করবে বাংলাদেশ। সাথিরা জাকির জেসি ভারতের ক্রীড়া সম্প্রচার মাধ্যম স্টার স্পোর্টসের সাথে কাজ করেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে, ওই চ্যানেলের সকর্মীদের বরাত দিয়ে তিনি বলছেন, সাকিব আর তামিম না থাকায় এই সিরজটি ভারতীয় সম্প্রচারকারীদের কাছে প্রীতি ম্যাচে পরিণত হয়েছে এখন। অর্থাৎ ভারতে এই সিরিজ নিয়ে আগ্রহও অনেকটাই কমে গিয়েছে। "বাংলাদেশ দলে সাকিব নেই, তামিম নেই। ভালো দলগুলোর বিপক্ষে এই ক্রিকেটাররাই ভালো খেলে থাকেন।" তবে নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়াটাকে একটা ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন জেসি। তার মতে, আফিফ হোসেন ধ্রুবরা সাকিব আল হাসানের জায়গায় কেমন পারফর্ম করে এটাই হবে দেখার বিষয়। আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমার বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে: বাংলাদেশ বাংলাদেশে যে কারণে 'ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার' প্রয়োজন বিয়ের পর কেমন হয় নববধূর অভিজ্ঞতা
পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারত পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মিঃ ওয়াং অর্ধ শতকের বেশি সময় পর শনিবার চীনে তার নিজের শহরে ফিরলেন ওয়াং-শি ছিলেন চীনা সেনাবাহিনীর একজন সার্ভেয়ার। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ১৯৬৩ সালে ভুলক্রমে কীভাবে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন এবং ভারত থেকে চীনে ফিরে যাওয়ার জন্য ভারত সরকার তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে অস্বীকার করে। বিবিসির এই রিপোর্টের পর দিল্লিতে চীনা কূটনীতিকরা ওয়াং-শির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। সন্তান ও নাতনিকে নিয়ে শনিবার ওয়াং শি যখন চীনে তার নিজের এলাকা শিয়াংইয়াং প্রদেশে পৌঁছন তখন সেখানকার মানুষ "সৈনিককে স্বদেশে স্বাগতম" ব্যানার নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। মিঃ ওয়াং ভারতে তার পরিবারের কাছে কখনও ফিরে আসবেন কীনা তা স্পষ্ট নয় ২০০৬ সালে মিঃ ওয়াং-এর মা চীনে মারা যান। মাকে তিনি আর দেখতে পান নি। চীনা সেনাবাহিনীর এই সাবেক সদস্য মিঃ ওয়াং বলেন "১৯৬৩ সালের জানুয়ারিতে চীনা সেনাবাহিনীর হয়ে রাস্তা বানানোর কাজে নিযুক্ত থাকাকালীন আমি ভুলবশত তিনি ভারতে ঢুকে পড়লে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।" "আমি আমার ক্যাম্প থেকে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম, তখন রাস্তা হারিয়ে ফেলি। আমি ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত ছিলাম। আমি রেড ক্রসের একটা গাড়ি দেখে তাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়," বলেন মিঃ ওয়াং। এর জন্য পরের ছয় বছর তাকে বিভিন্ন কারাগারে কাটাতে হয়। ১৯৬৯ সালে আদালত তার মুক্তির আদেশ দেয়। জেল থেকে মুক্তি দিয়ে পুলিশ তাকে ভারতের মধ্যপ্রদেশে টিরোডি নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে ছেড়ে দেয়। তাকে এরপর ভারত থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি। সেখানে তিনি স্থানীয় এক ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন। ৫৪ বছর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন তাকে দেশ ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভারত ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদেরও ভারত সরকার ভারতীয় পাসপোর্ট দিয়েছে যদি তারা ওয়াং-শির সঙ্গে চীনে যেতে চায়। কিন্তু তার স্ত্রী, যিনি ভারতীয় নাগরিক, তিনি মিঃ ওয়াং-এর সঙ্গে যান নি। মিঃ ওয়াং ভারতে ফেরত আসবেন কীনা তা স্পষ্ট নয়। ওয়াং শি ১৯৬০ সালে চীনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মিতে যোগ দেন
ভারতে ৫০ বছরের উপর আটকে পড়া এক চীনা ব্যক্তি অবশেষে নিজের দেশে পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) হাতে বর্তমানে হাজার হাজার সন্দেহভাজন আইএস সদস্য বন্দি। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার যেসব এলাকা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব এলাকায় বুধবার তুরস্ক অভিযান শুরু করার পর থেকে তীব্র বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তের দুই পাশে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তুরস্ক কুর্দিদের সন্ত্রাসী বলে দাবি করে এবং তাদের হটিয়ে সিরিয়ার সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের ভাষায় 'নিরাপদ অঞ্চল' তৈরি করতে চায়। এছাড়া বর্তমানে তুরস্কের অভ্যন্তরে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরিয়ান শরণার্থীকেও সিরিয়ার ভেতরে ঐ অঞ্চলে ফেরত পাঠাতে চায় তুরস্ক। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, একজন নারী কুর্দি রাজনীতিবিদ এবং নারী অধিকার কর্মী শনিবার উত্তর সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন। ফিউচার সিরিয়া পার্টি নামের রাজনৈতিক দলের ঐ নেতার গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িচালক ও সহযোগীসহ তুরস্কের সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার দল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, কুর্দি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে এরই মধ্যে এক লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দি প্রশাসন বলছে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কার্যত এসডিএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে উদ্যোগী হয় তুরস্ক। আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমা জোটের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল এসডিএফ। শুক্রবার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস কুর্দিদের বক্তব্য: তুরস্কের সাথে সংযুক্ত সিরিয়ার সীমান্তে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আটক থাকা আইএস বন্দিদের দিকে নজর রাখার বিষয়টি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রেদুর জেলিল নামের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। "আইএস বন্দিদের পাহারা দেয়া এখন আর অগ্রাধিকার নয়। এই বন্দীদের আটক থাকা নিয়ে যারা চিন্তিত, তারা এসে পাহারা দেয়ার জন্য আমন্ত্রিত।" মি. জেলিল বলেছেন, আইএস বন্দিদের পাহারা দেয়ার বদলে এসডিএফ'এর সেনারা 'আমাদের শহর এবং আমাদের জনগণ' বাঁচানোর জন্য কাজ করবে। তিনি এমনও সতর্ক করেছেন যে তুরস্কের অভিযান আইএস'কে পুনরায় জোট বাধার সুযোগ করে দিচ্ছে। "কামিশলি এবং হাসাকেহ অঞ্চলে এরই মধ্যে আইএস পুনরায় সক্রিয় হয়েছে এবং তাদের শাখার কার্যক্রম শুরু করেছে।" আইএস সিরিয়ায় কী করছে: কামিশলি এবং হাসাকেহ শহরে দুইটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর কুর্দিদের পক্ষ থেকে এরকম মন্তব্য এলো। ঐ দু'টি গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। শুক্রবার তুরস্কের হামলা চলাকালীন কামিশলির একটি কারাগার থেকে পাঁচজন আইএস সদস্যও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে এসডিএফ জানিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ফেনী নদী থেকে আরো পানি পাবে ভারত আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব জাপানে ভয়াবহ টাইফুনের আঘাত সিরিয়ার কোন এলাকা এখন কার নিয়ন্ত্রণে ওদিকে, শনিবার সিরিয়ায় নতুন অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে আইএস। তারা বলেছে, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আইএস-এর সদস্যদের বন্দি রাখার প্রতিশোধ নিতে তারা এই নতুন অভিযান শুরু করবে। এসডিএফ বলেছে তারা সাতটি কারাগারে ১২ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে আটকে রেখেছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত চার হাজার বিদেশি নাগরিক। এই বন্দীদের অবস্থান প্রকাশ না করা হলেও বলা হচ্ছে তাদের অনেকের অবস্থান তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। রোজ এবং আইন ইসা নামের দু'টি ক্যাম্পে - যেগুলো তুরস্কের ভাষায় 'নিরাপদ অঞ্চলের' মধ্যে রয়েছে - সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। শুক্রবার কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন জানিয়েছে যে বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ আইন ইসা ক্যাম্পটিকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্তের দুইদিকেই নিহত হয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক তুরস্ক জানিয়েছে, চলমান এই অভিযানের ফলে পালাতে সক্ষম হওয়া আইএস বন্দিদের খুঁজে পেলে তাদের দায়িত্ব নেবে তারা। অভিযানের অগ্রগতি হচ্ছে কীভাবে? অন্যতম প্রধান সীমান্তবর্তী শহর রাস আল-আইনের নিয়ন্ত্রণ দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। তুরস্ক জানায় তাদের সেনাবাহিনী এবং সিরিয়ান বিদ্রোহীদের জোট ঐ শহরের প্রধান কেন্দ্র দখল করেছে, কিন্তু কুর্দি নেতৃ্ত্বাধীন এসডিএফ বাহিনী ঐ শহরের দখল হারানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তুরস্কের অভিযানের অন্যতম প্রধান দু'টি লক্ষ্যবস্তু হলো রাস আল-আইন এবং তাল আবইয়াদ শহর। তুরস্কের মিত্র বাহিনীরা দাবি করছে তারা সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসহ এক ডজনেরও বেশি গ্রাম দখল করেছে। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এলাকায় তুরস্কের ক্রমাগত বিমান এবং স্থল হামলার শিকার হচ্ছে এসডিএফ। এসডিএফ কর্মকর্তা রেদুর জেলিল শনিবার তার বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কুর্দি যোদ্ধাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। ঐ বিবৃতিতে বিশেষ কয়েকটি এলাকায় তুরস্কের বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে দাবি জানায় তারা। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা বুধবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সীমান্তের দুই পাশেই বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৮০ জন কুর্দি যোদ্ধা মারা গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। তুরস্ক থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ তুরস্কে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। তুরস্কের সমর্থক বিদ্রোহী বাহিনীর - যারা সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি হিসেবে পরিচিত - প্রায় ৫০ জন যোদ্ধা মারা গেছেন। শনিবার অনেক ইউরোপিয়ান শহরের মত বার্লিনেও বিক্ষোভ করে মানুষ এই অভিযানের প্রতিক্রিয়া: এই অভিযান থামানোর জন্য তুরস্কের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন যে এই অভিযান চলবে। শনিবার, ফ্রান্স বলেছে যে, তারা তুরস্কে সব ধরণের অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করবে। এর আগেই জার্মানি ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা নেটো জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি সীমিত করবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে টেলিফোন করে সতর্ক করেছেন যে, তাঁর এই অভিযানের ফলে সিরিয়ায় আইএস-এর বিপক্ষে অর্জিত 'উন্নতি খর্ব হতে পারে।' কুর্দিরা এরই মধ্যে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। তারা বলছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে তারা প্রতারিত বোধ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন বলছেন যে, তার ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্র যেন তুরস্ক ও কুর্দিদের মধ্যে সমঝোতার মধ্যস্থতা করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে প্রয়োজন হলে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে প্রস্তুত তিনি। ওদিকে শনিবার প্যারিস, বার্লিনসহ ইউরোপের অনেক শহরে হাজার হাজার মানুষ তুরস্কের এই অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রকাশ করে পদযাত্রায় অংশ নেয়।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের বাহিনীর হামলার শিকার কুর্দিরা বলছে, এই অভিযান চলতে থাকলে ইসলামিক স্টেটের বন্দিদের পাহারা দেয়ার বিষয়টিতে তারা আর গুরুত্ব দেবে না।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নুসরাত জাহান এর আগে মার্চের ২৭ তারিখে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক মামলা করেছিল নিহত নুসরাতের পরিবার। সেদিনই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনারই জের ধরে ৬ই এপ্রিল মাদ্রাসার ভেতরের পরীক্ষার হল থেকে ডেকে ছাদে নিয়ে গিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। দেশজুড়ে আলোচিত এ ঘটনা তদন্তের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআই বলছে, পুরো ঘটনা উদঘাটন করেছেন তারা। পিবিআই উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, "মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌলা মূল আসামী। তিনি সহ মোট ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ৭২২ পৃষ্ঠার চার্জশিট কাল [বুধবার] আদালতে দেয়া হবে।" তিনি বলেন, "নুসরাত হত্যার পুরো দায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌলার, যিনি নুসরাতের যৌন হয়রানির মামলায় আগেই কারাগারে ছিলেন।" "তার নির্দেশেই সব হয়েছে এবং ১৬ জন এ ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে ১২ জন আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।" নুসরাতের অবস্থার করুণ বর্ণনা শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর নুসরাত জাহান উদ্ধারের আগ পর্যন্ত অবস্থার করুণ ও বীভৎস অবস্থা উঠে এসেছে পিবিআইয়ের তদন্তে। মিস্টার মজুমদার বলছেন, "ওইদিন পরীক্ষা ছিল, লোকজন সেভাবে ছিল না। মেইন গেটে দারোয়ান ও পুলিশ ছিলো। যে সাইক্লোন সেন্টারের ঘটনা তার গেইট আবার মাঠের মধ্যে উল্টো দিকে।" অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অনেকে নুসরাতকে চিৎকার করতে দেখেছে বলে পুলিশ জানায়। পরে আয়া, বাংলা শিক্ষক, দারোয়ান ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। "যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের তিন জন পরীক্ষার্থী ছিল ও তারা পরীক্ষা দিতে চলে গেছে। আমরা বুঝতেও পারিনি যে ঘটনা ঘটিয়ে তারা পরীক্ষা দিতে গেছে।" তিনি বলেন, ১১ই এপ্রিল কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে গ্রেফতারের পর ১৩ তারিখেই তারা জানিয়েছিলেন যে এটি ছিল একটি খুন। ১৬ জনকেই বিভিন্ন দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশি তিন দফায় রিমান্ডে ছিল শাহাদত হোসেন শামীম। নুসরাত জাহান: যে মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সবাইকে মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন: যা জানা যাচ্ছে সোনাগাজীতে যারা প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলেন বনজ কুমার মজুমদার মিস্টার মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় পাঁচটি বোরকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং এর মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা গেছে। "আরও অনেক আলামত সংগ্রহ করেছি। এছাড়া আর কেমিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী দাহ্য পদার্থ ছিল কেরোসিন জাতীয় পদার্থ এবং সেটা কোথা থেকে কেনা হয়েছে সেটাও আমরা পেয়েছি।" তিনি বলেন, "এই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন তার ভূমিকা ও সহযোগীদের ভূমিকা ছিল - তা বলে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজদ্দৌলা ঘটনার সময় যিনি যৌন হয়রানির মামলায় জেলে ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি নুসরাত রাফির গায়ে হাত দিয়েছেন।" "তিনি (অধ্যক্ষ) বলেছেন যে প্রথমে রাফিকে চাপ দিবা, না হলে খুন করবা। খুনের পদ্ধতিও বলে দিছেন যে আগুন দিয়ে খুন করবা এবং আত্মহত্যা বলে চালাবা।" "এ নির্দেশের পর বাকী ১৫ জন সবাই তার ১৬৪ প্রমাণ করেছে। তিনি জেলখানায় যা বলেছেন তা স্বীকার করেছেন পুলিশ ও আদালতের কাছে।" ছাদে নিয়ে নুসরাতকে চাপ দেয়া হয় একটি সাদা কাগজ দিয়ে বলা হয় - "এখানে স্বাক্ষর করো"। পুলিশের বর্ণনায় যেভাবে নুসরাতকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে ৬ই এপ্রিল সকালে শাহাদত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল কাদের মাদ্রাসায় আসেন এবং পরিকল্পনা মত যার যার অবস্থানে যায়। শাহাদত হোসেন পলিথিনে করে আনা কেরোসিন তেল ও অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে থেকে আনা গ্লাস নিয়ে ছাদের বাথরুমের পাশে রেখে দেয়। কামরুন্নাহার মনির কেনা দুটি ও বাড়ি থেকে আনা একটিসহ মোট তিনটি বোরকা ও চার জোড়া হাত মোজা নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের তৃতীয় তলায় রাখে। শাহাদত হোসেন শামীম, জাবেদ ও জোবায়ের সাড়ে নয়টার দিকে বোরকা ও হাত মোজা পরিধান করে সেখানে অবস্থান নেয়। নুসরাত পরীক্ষা দিতে আসলে পরিকল্পনা মতো উম্মে সুলতানা পপি নুসরাতকে তার বান্ধবীকে মারধরের কথা বলেন। নুসরাত দৌড়ে ছাদে যেতে থাকে। দ্বিতীয় তলায় পৌঁছালে পপি নুসরাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বলে ও ভয় দেখায়। নুসরাত মামলা তুলবে না বলতে বলতে ছাদে উঠলে কামরুন্নাহার মনি, শাহাদত হোসেন শামীম, জোবায়ের ও জাবেদ নুসরাতের পিছনে ছাদে যায়। সেখানে তারা নুসরাতকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বললে নুসরাত অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহাদত হোসেন শামীম বাম হাত দিয়ে নুসরাতের মুখ চেপে ধরে ও পপিকে বলে নুসরাতের বোরকার মধ্য থেকে ওড়না নেয়ার জন্য। পপি ওড়না নিয়ে জুবায়েরকে দেয়। জুবায়ের এক অংশ দিয়ে পা বাঁধে ও পপি হাত পেছনে বেঁধে ফেলে। এরপর পপি, মনি ও শাহাদাত তাকে শুইয়ে ফেলে। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরে তাকে মুখ চেপে ধরে গিট দেয়া হয়। আর জাভেদ কালো পলিথিনে এক লিটার তেল ছিল। মাদ্রাসার গ্লাস দিয়ে কেরোসিন ঢালে নুসরাতের শরীরে। শামীমের ইঙ্গিতে জুবায়ের তার কাছে থাকা ম্যাচ থেকে আগুন ধরিয়ে সবাই নির্দ্বিধায় বেরিয়ে যায়। শামীম জবানবন্দীতে বলে নুসরাতের মুখ সে চেপে ধরায় মুখে কেরোসিন দেয়া যায়নি। পপি ও জুবায়ের পা চেপে ধরায় কেরোসিন দেয়া যায়নি। পুড়ে নুসরাতের হাত ও পা খোলার পরেই তার মাথায় এসেছে যে তার বাঁচতে হবে। 'আত্মহত্যার প্রচারণার ফাঁদে অনেকে পা দিয়েছিল' বনজ কুমার মজুমদার বলেন, প্রতিটি লোকের প্রতিটি দায় এ ঘটনায় কী ছিল তারা সেটা বের করেছেন। "এদের ফাঁদে বহুজন পা দিয়েছিল যে আত্মহত্যা বলে চালানোর। এটি অনেকেই বিশ্বাস করে ফেলেছিল।" তিনি বলেন, "পরে যা বের হলো তাতে তারা যারা তদন্ত টিমে বা বাইরে ছিলাম তারা থ মেরে গেছেন - যে এমন ঘটনাও হতে পারে।" নুসরাত আগুন দিয়ে অভিযুক্তরা সরে পড়লো কিভাবে মিস্টার মজুমদার জানান, আগুন ধরানোর পর ৫ জন - দুটি মেয়ে শম্পা ও মনি- তারা সামনের থেকে বের হয়ে পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষায় বসে। আরেকজন পরীক্ষার্থী জাবেদও পরীক্ষার হলে যায়। শাহাদত হোসেন শামীমকে বোরকা দিয়ে যায়। সে মূল গেট দিয়ে বের না হয়ে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে বাড়িঘরে ঢুকে যায়। খুনিদের তিনজন পরীক্ষায় ও একজন বোরকা পুকুরে ফেলে বাড়িঘরে ঢুকে যায়। আর জুবায়ের বোরকা পরে ঘুরে মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে পাশে কৃষি ব্যাংকের সিঁড়িতে ওঠে বোরকা পলিথিনে নিয়ে বের হয়ে আসে। "আমরা নিজেরাই হতবাক হয়ে গেছি এদের (জড়িতদের) মানসিক শক্তি দেখে।"। নুসরাতের কবর '৪টা গ্রুপ ঘটনা ঘটিয়েছে' বনজ কুমার মজুমদার জানান, এখানে চারটা গ্রুপ ঘটনা ঘটিয়েছে- শিক্ষক, একজন নির্দেশ আরেকজন হত্যায় সহযোগিতা করেছে। আরেক গ্রুপ মেইন গেট পাহারা দিয়েছে। আর দুজন সাইক্লোন সেন্টার গেইট পাহাড়া দিয়েছে। আর চারদিক থেকে সহযোগিতা করেছে আর দুজন গভর্নিং বডির ভাইস প্রেসিডেন্ট রুহুল আমিন ও কমিটি মেম্বার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম। এদের একেক জনের এক একটি দায়িত্ব ছিল। এটি "মিলিটারি প্ল্যান" এর মতো নিখুঁত, তারা ঘটনাটা ঘটিয়ে জনতার সাথে মিশে গেছে। কেন তারা করেছে এটি? এ হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, অনেকেই বলেছে এ ঘটনার কারণ হলো -"আলেমদের অপমান আর প্রেমের ব্যর্থতা"। "কিন্তু তদন্তে আমরা সেটি পাইনি। আমরা যা পেয়েছি তা হলো ওই মাদ্রাসার সকলের স্বার্থে মেয়েটি ঘাঁ দিয়েছিলো।"
শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ পোড়া অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর গত ১০ই এপ্রিল মৃত্যু হয় ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানের।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
২০১৭ বিপিএলে রাজশাহী কিংস ২০১২ সাল থেকে শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। এরপর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা প্রতি বছরই এই আসর থেকে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার লক্ষ্যে এই আসরের দিকে চোখ রাখে। এর আগে সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, আবু হায়দার রনির মতো ক্রিকেটাররা উঠে এসেছেন এই আসর থেকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মিশ্র একটি বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তবে জয়-হারের যেই অনুপাত সেখানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ। বিশেষত আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ তে হার ২০১৮ সালের একটা বড় নেতিবাচক দিক ছিল। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এখানেও কখনো খুব ভালো, কখনো খুব বাজে খেলেছে বাংলাদেশ। এই ১৬টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি না হওয়াতে বাংলাদেশ ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং টেস্টে নবম ও ওয়ানডেতে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দশ নম্বরে আছে। কিন্তু বিপিএল কী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রভাব রাখছে না? "বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করি সেটা একটা বড় প্রশ্ন। আমাদের যেসব ক্রিকেটার সম্ভাবনাময় তাদের জন্য বিপিএল বড় মঞ্চ। চার বা পাঁচজন করে বিদেশী খেলোয়াড় থাকবে, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে দেশী ক্রিকেটাররা বাঁধা পায়," বলছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বিপিএল বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় মঞ্চ এই চিত্রে কতটা পরিবর্তন আসছে জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের এই ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাছে। "এই বছর যেসব খেলোয়াড়কে দেখছি, তাদের প্রস্তুতি নেয়ার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা ভালো দিক। আমাদের খেলোয়াড়রা কিছুটা ভূমিকা পালন করতে না পারলে এধরণের ক্রিকেট খেলার কোনো অর্থ হয়না," বলছিলেন মি: ফাহিম। ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএলে মোট ৮টি দলে একাদশে অন্তত সাতজন করে ভারতীয় ক্রিকেটার খেলে থাকেন এবং সেক্ষেত্রে এমন আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্টে বড় ভূমিকা পালন করার সুযোগ পান অন্তত ৫৬ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। আইপিএল আসার পর থেকে ভারতের ক্রিকেটে মানে ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন লক্ষ্যনীয়। যেখানে অর্থ যোগান ও ক্রিকেটীয় মানে উন্নয়ন একটা সমান্তরালে হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও বেশ বড় অঙ্কের অর্থ ঢেলে থাকেন দল গঠনে। সেক্ষেত্রে জাতীয় ক্রিকেটারদের ওপর দলের মালিকদের ভরসা রাখার একটা জায়গা দেখছেন মি: ফাহিম। তিনি বলেন, টিম ম্যানেজমেন্টকে এখানে ভূমিকা রাখতে হবে। রাজশাহী কিংসের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন এবার মেহেদী হাসান মিরাজ। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে অন্য দলগুলোর জন্য।
বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসর শুরু হচ্ছে ৫ই জানুয়ারি।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা বলছে, স্থূলতার শিকার সাত বছরের শিশুরা আবেগজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে (প্রতীকী ছবি) লিভারপুল গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, স্থূলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং পুরো শৈশব জুড়ে এটি বাড়তে থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি আবেগজনিত সমস্যায় ভোগে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। যদিও ঠিক কী কারণে এটি ঘটেছে, তা এই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তবে দরিদ্রতার কারণে উভয় সমস্যা বেড়ে যায় বলে তারা বলছেন। গ্লাসগোয় ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটিতে (ইসিও) এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। আরো পড়ুন: যেভাবে কমানো হচ্ছে শিশুদের স্থূলতা বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে ‘ওবেসিটি’ ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটা হয়েও আপনি অপুষ্টিতে ভুগছেন? মায়ের মাসিকের সাথে ছেলের বয়ঃসন্ধিকালের সম্পর্ক মিষ্টি কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? যুক্তরাজ্যে ২০০০ এবং ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া ১৭ হাজারের বেশি শিশুর ওপর গবেষণা করা হয়। সেখানে পরিসংখ্যানগত মডেলিং করে স্থূলতার সঙ্গে মানসিক সমস্যার সম্পর্কের বিষয়টি যাচাই করা হয়। শিশুদের উচ্চতা ও ওজনের বাইরে তাদের তিন, পাঁচ, সাত, ১১ এবং ১৪ বছর বয়সের আচরণ সম্পর্কে অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে সাত বছরের কম শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা পাওয়া যায়নি। 'খাবার কম খেলেই সমাধান নয়' ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুলের জ্যেষ্ঠ মনোবিদ্যা প্রভাষক ড. শার্লট হার্ডম্যান বলেছেন, গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে, শৈশব জুড়ে স্থূলতা এবং আবেগজনিত সমস্যা যেন 'হাতে হাত ধরে' বেড়ে ওঠে। যারা সন্তানদের স্থূলতা জনিত বিষয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি বলছেন। ''অনেকে মনে করেন, কম খেলে এবং বেশি পরিশ্রম করলেই এটা সমাধান হয়ে যাবে-কিন্তু এটা তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল,'' বলছে ড. হার্ডম্যান। ''স্থূলতা এবং আবেগজনিত সমস্যা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে আছে।'' তিনি বলছেন, এখন এটা সবাই জানে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে স্থূলতা এবং মানসিক সমস্যার যোগাযোগ রয়েছে, কিন্তু একই বিষয় দেখা যাচ্ছে শিশুদের ক্ষেত্রেও। ''সাত বছর বয়স থেকে মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্থূলতা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে।'' যেহেতু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বেড়ে যায়, তাই এর কারণ বের করা জরুরি বলে গবেষকরা বলছেন। কারণ এর ওপর নির্ভর করবে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের বিষয়টি, তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস যে ব্যক্তিকে ছয় বছর বয়স থেকে আটকে রেখেছে চীন ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফরহাদ ও তাসকিন বাংলাদেশে চীনা ভাষা ইদানিং কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
স্থূলতার শিকার সাত বছরের শিশুরা রাগ এবং গুটিয়ে রাখার মতো আবেগ তাড়িত সমস্যায় ভোগার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা বলছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ঘুম না হওয়ার সাথে মানুষের অকালমৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই - বলছে নতুন গবেষণা নতুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জার্নাল সায়েন্স স্পষ্টভাবে বলেছে, ইনসমনিয়া বা ঘুম না হওয়া জনিত রোগের সাথে দ্রুত মৃত্যুবরণের কোনো সম্পর্ক নেই। ঘুমের আশায় ভোর ৪টা অব্দি যিনি বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেন, গড়াগড়ি খান - তার জন্যে জার্নাল সায়েন্সের এই তথ্য হয়তো কিছুটা প্রশমন বা স্বস্তি বয়ে আনলেও আনতে পারে। কারণ, ঘুমহীনতার সাথে দ্রুত মৃত্যুর সম্পর্ক না থাকা বিষয়ক সিদ্ধান্তে পৌঁছুবার আগে গবেষকেরা কয়েক কোটি মানুষের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন। মোট ১৭টি গবেষণায় প্রায় ৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএস থেকে এর আগে যা বলা হতো - নতুন এই প্রতিবেদনের বক্তব্য তার পুরোপুরি বিপরীত। এনএইচএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইনসমনিয়ার কারণে মানুষের ওবেসিটি বা স্থূলতা, হৃদরোগ ও টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আয়ু্ও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ইনসমনিয়ায় ভুগছেন এমন মানুষেরা মূলত তাদের আয়ু নিয়ে চিন্তিত নন, বরং ঘুম না হওয়া ক্লান্ত দেহে কী করে দিনটা শেষ করবেন সেটি নিয়েই তারা বেশি চিন্তিত। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: শরীরের ভেতরে গোপন ‘দেহঘড়ি’: ১২টি অজানা তথ্য সুস্বাস্থ্যের জন্য দিনে কতটা ঘুম দরকার দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় সুস্বাস্থ্যের জন্য আট ঘণ্টা ঘুম কতটা জরুরী? নাভিদ খান, স্কুল শিক্ষক নিজের ইনসমনিয়া নিয়ে সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক নাভিদ খান বলছেন, তিনি রাতে চার ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারেন না। অবসাদগ্রস্ত দেহে দিনটা ভালোয় ভালোয় পার করতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েই তার যত ভাবনা। আর এই ক্ষেত্রে তিনি একটি টেকনিক বা কৌশল অবলম্বন করেন। সেটি হচ্ছে, নিজের পুরো দিনটিকে তিনি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে নেন। ধরা যাক, তিনি একটা ক্লাস নেন, কোন মতে একটা ঘন্টা পর করে দেন, তারপরই একটা বিরতে, তার পর আরেকটা, তারপর দুপুরের খাবার বিরতি। এভাবেই দিনের একেকটি অংশ পার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোন তিনি। যুক্তরাজ্যে ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা প্রচুর। সাম্প্রতিক তথ্য মতে, দেশটিতে শতকরা ৩০ ভাগ লোক ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত। ইনসমনিয়াকে পরাস্ত করা সহজ নয়। কিন্তু ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর বেশ কিছু উপায় আছে। ভালো ঘুম হওয়া নিশ্চিত করার নানা উপায় আছে। অনিদ্রা রোগের প্রভাব কাটাতে এনএইচএস কয়েকটি তরিকা অনুসরণ করতে পরামর্শ দিয়েছিল। যেমন নিজের দেহটিকে ক্লান্ত করে তোলার জন্য প্রতিদিন কিছুটা ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা, খাদ্য তালিকা থেকে চা-কফি জাতীয় পানীয় বা ক্যাফেইন কমিয়ে দেয়া। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ বা বেশি রাত পর্যন্ত অ্যালকোহল পান করলে ঘুম ব্যাহত হতে পারে। আর ২৯ বছর বয়সী লেখক এলমারা এবগেরিয়েন বলেছেন, নির্ঘুম রাত কাটানোর পর তিনি ক্লান্তিতে হয়রান ও বিরক্ত থাকেন। এমনকি তার এই বিরক্তির বহি:প্রকাশ-ও ঘটে তার চারপাশের লোকজনের ওপর। কম ঘুমের কারণে আয়ু না কমলেও অন্যান্য রোগ হতে পারে এলমারা হয়তো কোন কোন রাতে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমোতে পারেন, কিন্তু প্রায় রাতেই তার কিছুক্ষণ পরপর ঘুম ভেঙে যায়। আর এর প্রভাব পড়ে তার জীবনযাপনের ওপর। তার অবসন্ন লাগে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে না। ইনসমনিয়ার কারণে এলমিরার স্বাস্থ্যের উপরে দীর্ঘস্থায়ী কোনো খারাপ প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আশা করি এই অবস্থাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না"। লেখক এলমারা এবগেরিয়েন ২৩ বছর বয়সী মিউজিশিয়ান র‍্যায়ান এ্যাশলি বলেন, ঘুম না হওয়ার বাস্তবতার সাথে তিনি যেনো নিজেকে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। মি. এ্যাশলি বলছিলেন যে, নিশ্চয়ই রাতভর ঘুমানোর অভিজ্ঞতাটা একটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু তিনি এটির সাথে নিজেকে মেলাতে পারেন না কারণ কখনোই রাতভর একটানা ঘুমের অভিজ্ঞতা তার নেই। হাঙ্গামাপূর্ণ একটি শৈশবের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কারণে মি. এ্যাশলির ঘুমের সমস্যার সূত্রপাত। তারও এলমারার মতনই বার বার রাতে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমের সমস্যার কারণে এ্যাশলির আয়ু কমে যাচ্ছে কিনা এটি নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন। তবে হ্যাঁ, জার্নাল সায়েন্সের নতুন এই প্রতিবেদন যদিও বলছে, ইনসমনিয়ার সাথে দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই - কিন্তু অন্যান্য অসুখ যেমন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সাথে ইনসমনিয়ার ঠিকই যোগসূত্র পাওয়া গেছে। ঘুম ও সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারের সময় পরিবর্তন
যদি আপনি অনিদ্রা রোগে ভুগে থাকেন তাহলে সুসংবাদটা আপনার জন্যে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, ঘুম না হওয়ার সাথে মানুষের দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বিমানটি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় ছিটকে রানওয়ের বাইরে চলে যায়। শুরুতে আহতদের বিমানবন্দর থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে নর্থ ওকলাপা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাদের ইয়াঙ্গুন জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিমানের পাইলট সবচাইতে বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। তাদের একজন মুনিমউল ইসলাম। মিয়ানমারে একটি আইটি কোম্পানির মালিক। তিনি বর্ণনা করছিলেন হাসপাতালে কি পরিস্থিতি তিনি দেখেছেন। তিনি বলছিলেন, "হাসপাতালে গিয়ে প্রথমেই দেখি আহতরা সবাই যেন এক ধরনের শকের মধ্যে আছে। প্যাসেঞ্জারদের কাছ থেকে যেটা আমরা শুনলাম যে পাইলট যেভাবে প্লেনটা সামলে সবাইকে বাঁচালো সেটা একটা মিরাকল। তবে পাইলট নিজেই অনেক আহত। ওনাকে নিয়েই আমরা বেশি চিন্তা করছি।" মিয়ানমারে বিমান দুর্ঘটনা: ইয়াঙ্গুন হাসপাতাল অবস্থা কেমন ছিল মুনিমউল ইসলামের নিজের পরিচিত তিনজন ছিলেন দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটিতে। কিভাবে খবর পেলেন সেই বর্ণনা দিয়ে তিনি বলছিলেন, "যখন খবর পেলাম যে প্লেন একটা ক্র্যাশ হয়েছে বাংলাদেশের, তখন ফেসবুকে নিউজটা শেয়ার করি পাবলিক পোস্টে। এরপরই যারা ফ্লাইটে ছিল তাদের আত্মীয় স্বজনেরা যোগাযোগ শুরু করে। আমরা প্রথম হাসপাতালটিতে গিয়ে কয়েকজনকে ট্র্যাক করলাম। কয়েকজনকে দ্বিতীয় হাসপাতালে নিয়ে আসার খবর শুনে আবার সেখানে গেলাম।" আরো পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা: ১৮ জন হাসপাতালে রাশিয়ায় মধ্য আকাশে বিমানে আগুন, নিহত ৪১ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে আসলে কী দেখা হয়? হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের আঘাতের ধরন সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারেন নি। তবে সবাই আশঙ্কা মুক্ত বলে রাতে বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তিনি বলছিলেন ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুটি হাসপাতালেই দীর্ঘ সময় ছিলেন। সবকিছু তদারকি করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও হাসপাতালে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন। যারা আহত হননি তাদের শুরুতে বিমানবন্দরেই রাখা হয়। তাদের পাসপোর্ট বা কাগজপত্র জরুরী অবস্থায় বিমানেই ফেলে রেখে আসতে হয়েছে। ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রাতে বিমানবন্দরে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে তাদের বাইরে আসতে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গতকাল বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায়। বিমানের ফ্লাইট ০৬০ বুধবার দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। ৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এসময় বৃষ্টি ও ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল বলে জানা গেছে। বিমানটিতে মোট ৩৩ জন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে চারজন বিমান ক্রু এবং বাকি ২৯ জন যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল বলে জানা গেছে। অন্যান্য খবর: কারাগারে অগ্নিদগ্ধ আইনজীবীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন 'রমজান' কীভাবে 'রামাদান' হয়ে উঠেছে ভারতে ক্রিকেট: মুস্তাফিজুর রহমান কি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছেন?
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় ছিটকে রানওয়ের বাইরে চলে যাওয়া বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটির কমপক্ষে ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সেদিন সেখানে উপস্থিত কিশোর-কিশোরীদের সতর্ক করেছিলাম - একরামুল করিম চৌধুরী এমপি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী মঙ্গলবার নোয়াখালী শহরের একটি পার্কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পরা দু'টি যুগলকে গালমন্দ করেন এবং ছবি তুলে ফেসবুকে পাতায় আফলোড করেন। ঐ ঘটনা নিয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, "ঘটনাক্রমে ঐদিন পার্কটির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল বা কলেজের পোশাক পরা অবস্থায় দু'টি যুগলকে দৃষ্টিকটু ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখলে সেখানে গিয়ে তাদের ভর্ৎসনা করি এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলি। আর সাবধান করার জন্যই দ্বিতীয় যুগলটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করি।" ঐ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায় মি. চৌধুরী কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে পার্কে অবস্থানরত কয়েকটি যুগলকে বকাঝকা করছেন। একপর্যায়ে কলেজ ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরীর বাবার ফোন নম্বর জানতে চেয়ে ঐ কিশোরীকে মি. চৌধুরী হুমকি দেন যে ফোন নম্বর না দিলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। মি. চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, ঐ কিশোরীকে 'ভয় দেখানোর' জন্য ঐ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সাথে করে পার্কে বসা যুগলদের সতর্ক করা একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিনা - এমন প্রশ্নের জবাবে মি. চৌধুরী বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংগঠক হিসেবে এলাকার নৈতিক অবক্ষয় রোধে ঐ ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। "আমার সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সেদিন সেখানে উপস্থিত কিশোর-কিশোরীদের সতর্ক করেছিলাম।" আর আইন অনুযায়ী এরকম পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন কিনা - সে প্রশ্নের জবাবে মি. চৌধুরী বলেন সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সেখানে উপস্থিত কিশোর-কিশোরীদের সতর্ক করেছেন। সাথে পুলিশ কেন নিয়ে গিয়েছিলেন - এ প্রশ্ন কর হলে মি. চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ঐসময় তার সাথে পুলিশ ছিল, তিনি আলাদাভাবে পুলিশ নিয়ে সেখানে অভিযানে যাননি। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে, তা হলো সেদিন পার্কে থাকা কয়েকজনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। রাস্তায় দুই কিশোরকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন একরামুল হক চৌধুরী এমপি আরও পড়ুন: ঢাকায় থাকার জন্য পছন্দের শীর্ষে উত্তরা, মিরপুর তুরস্ক কি আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? জোরপূর্বক কিশোর কিশোরীদের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা আইনগত-ভাবে অপরাধ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মি. চৌধুরী বলেন, "আমি কোনো অপরাধ করিনি।" তিনি মন্তব্য করেন, ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে তিনি নোয়াখালীর মানুষের প্রতি একটি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। মি. চৌধুরীর ফেসবুক পাতায় পার্কের ঐ ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে গত ৬ই জুলাই তার ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায় 'মেয়েদের উত্যক্ত' করার অভিযোগে তিনি একটি রাস্তায় জনসমক্ষে দুই কিশোরকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন। একজন এমপির অধিকারের সীমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক সামিনা লুৎফার মতে, পার্কে সময় কাটানো কিশোর কিশোরীদের ভর্ৎসনা করে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। "আমি মনে করি মি, চৌধুরীকে বাংলাদেশের আইন এই বৈধতা দেয়নি যে তিনি পার্কে গিয়ে ছেলেমেয়েদের হুমকি দেবেন। ছেলেমেয়েরা পার্কে কখন বা কার সাথে যাবে, সেবিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার একজন সাংসদের নেই। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে শুধুমাত্র তাদের পরিবার।" মিজ. লুৎফার মতে, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও সাংসদের উচিত হয়নি পার্কে থাকা কিশোর কিশোরীদের হেনস্থা করা। "আমাদের সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু সীমানা রয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই চাইলেই আমাদের প্রতিবেশীর সন্তানকে বকা দিতে পারি না। সেই দায়িত্ব শুধুমাত্র বাবা মা'র এবং আইনগত-ভাবে সিদ্ধ অভিভাবকদের।" "আর কলেজের পোশাক পরা অবস্থায় তারা পার্কে গিয়ে থাকলে কলেজের শিক্ষক বা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাদের সতর্ক করা, সাংসদের নয়।" ঢাকার একটি পার্ক আর সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে মি. চৌধুরী শুধু নৈতিকভাবে নয়, আইনগত-ভাবেও অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন সামিনা লুৎফা। মিজ. লুৎফা মনে করেন ছবি তুলে বিনা অনুমতিতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অপরাধ করেছেন মি. চৌধুরী। "অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের ছবি পোস্ট করে তিনি যে তাদের সামাজিকভাবে হেনস্থা করলেন, এরপর যদি তারা নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে বা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে - যা এই বয়সী কিশোর কিশোরীদের জন্য স্বাভাবিক - তাহলে কি তাদের দায়িত্ব তিনি নিবেন?" সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী কলেজ-পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস বাদ দিয়ে পার্কে সময় কাটানোকে যে পদ্ধতিতে নিরুৎসাহিত করেছেন, তার সমালোচনা করলেও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করায় কোনো সমস্যা দেখছেন না আইনজীবী নূর জান্নাতুল কারার। "একজন জনপ্রতিনিধি কিন্তু তার এলাকার অনেক রকম দায়িত্বই পালন করতে পারেন। সামাজিক বা নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে এ ধরণের দায়িত্ব পালন করতেই পারেন তিনি। এটি আইনের লঙ্ঘন নয়, তবে আমি মনে করি তার পদ্ধতিটিও সঠিক নয়।" মিজ. কারার বলেন, "এই বয়সে কিশোররা স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভুল করে, কিন্তু এভাবে অপমান করে বা সামাজিক মাধ্যমে তাদের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে তাদের ভুল শোধরানো সম্ভব নয়।" বিষয়টি এভাবে প্রচার না করে এমপি মি চৌধুরী কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করতে পারতেন - যেটি তাদের সংশোধনের ক্ষেত্রে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতো বলে মনে করেন মিজ. কারার।
বাংলাদেশের নোয়াখালীতে একজন সংসদ সদস্য পার্কে সময় কাটাতে থাকা কলেজ পড়ুয়া যুগলদের ভর্ৎসনা করে তাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
আল-জাজিরা টিভির এই ভিডিওটিকে বাংলাদেশের পুলিশ অস্বীকার করছে। তবে একইসাথে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলছে। আল-জাজিরা টিভি সম্প্রতি ভিডিওটি প্রকাশ করেছে, যেটি এখন ইউটিউব হয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়গা পাচ্ছে। সাঁওতালরা বলেছেন, গত ৬ই নভেম্বর তাদের উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে পুলিশ ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় -- তারা নিজেরা তা দেখেছেন। গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে আল-জাজিরা টেলিভিশনে যে প্রতিবেদন প্রচার হয়, সেখানে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাঁওতালদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। সাঁওতালদের বসতির পাশেই দাঁড়িয়ে অনেক পুলিশ গুলি করছে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তাদেরই মধ্য থেকে মাথায় হেলমেট এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়া একজন পুলিশ সদস্য সাঁওতালদের বাঁশ এবং ছনের তৈরি ঘরের কাছে গিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং পাশের ছনের ঘরগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সিভিল ড্রেসে কয়েকজনকে জনকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে পুলিশের আগুন ধরানোর ঘটনা পরিষ্কার দেখা গেলেও পুলিশ তা মানতে রাজি নয়। পুলিশ ঘর-বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তার ছবিও তোলা হচ্ছে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলছিলেন, পুলিশ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়নি। এরপরও তারা ভিডিওটি খতিয়ে দেখবেন। তিনি বলছিলেন, "আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। আগুনের পাশে হয়তো পুলিশকে দেখা যেতে পারে। কারণ পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। এবং পুলিশ দমকল বাহিনীকে ডেকেছিল।'' ''দমকল বাহিনীও সেখানে গিয়েছিল। ততক্ষণে হয়তো ছোট ছোট কিছু ঘর পুড়ে গেছে। ফলে পুলিশের আগুন লাগানোর বিষয় সঠিক নয়। এরপরও ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হবে।" যদিও পুলিশ ভিডিওর ছবি মানতে রাজি নয়। কিন্তু আল-জাজিরার ঢাকার কার্যালয় থেকে একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভিডিওটি সংগ্রহ করার পর তা যাচাই করেই তারা প্রচার করেছেন। গত ৬ই নভেম্বর উচ্ছেদের এই ঘটনায় গুলিতে তিনজন সাঁওতাল মারা যান। অনেকে আহত হয়েছেন। আর বসতি আগুনে পুড়ে গেছে। সেখানকার সাঁওতালদের একজন নেতা সেলিমন বাস্কে বলেছেন, "পুলিশের সাথে যখন সংঘর্ষ হচ্ছিল। একপর্যায়ে আমাদের চোখের সামনেই প্রথমে পুলিশ আমাদের ঘরে আগুন দেয়। ভিডিওর ছবি সঠিক এবং আমরা মামলাতেও তাই বলেছি।" চাষের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্যরা সোমবার গোবিন্দগঞ্জে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঁওতালদের নিয়ে গণ-শুনানি করেছেন। সাঁওতালরা তীর ধনুক এবং লাঠি নিয়ে সেই শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মামলা থাকায় ভয়ের কারণে তারা তীর ধনুক নিয়ে শুনানিতে আসার কথা তাদের জানায়। তিনি আরও বলেন, সাঁওতালদের উচ্ছেদের ঘটনা আইনগত ভাবে হয়নি। কারণ যথাসময়ে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শুনানি থেকে তারা এই চিত্র পেয়েছেন। এদিকে, উচ্ছেদের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের আদেশে সাঁওতালদের 'বাঙ্গালি দুষ্কৃতকারী' বলা হয়েছিল, এ নিয়ে এক রিট মামলায় হাইকোর্টের তলবে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আদালতে হাজির হয়ে নি:শর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
বাংলাদেশে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় তাদের ঘরবাড়িতে পুলিশের আগুন ধরিয়ে দেয়ার যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, সেটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পল্টনে বিএনপির সমাবেশ নির্বাচনের আগে বিএনপি কী চায় তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারকে কিছু বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল বলছেন, বিএনপি নীতিনির্ধারকরা প্রধানত তিনটি দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন - খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করার আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের সংবাদদাতা বলছেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি খোলা ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চ থেকে বক্তৃতার সময় বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে বেশ "আত্মবিশ্বাসের" সুর শোনা গেছে। বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, দ্রুত তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া না হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করা হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকারর মোশাররফ হোসেন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, "আন্দোলনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।" নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার আগে সরকারতে পদত্যাগ করতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসাথে সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের ভাষণে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং কমিশন ঢেলে সাজানোর দাবি করেন। বিএনপির সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগম ছিল লক্ষণীয়। কাদির কল্লোল বলছেন, নয়া পল্টনে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে সড়কটি মানুষে ঠাসা ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে এই সমাবেশে বাধা তৈরির কোনো চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি। একজন সিনিয়র মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, সরকার চায়না নির্বাচনের আগে কোনো ইস্যু তৈরি করে রাজধানীতে কোন বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক। নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে ঐ মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যা বলা আছে, সবকিছু সে মতই হবে।
দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকার জনসভায় বিএনপি নেতা আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
লর্ড কার্লাইল, খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব তার শুক্রবারের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে দিলেও তার একদিন আগেই তিনি দিল্লিতে অন্য কোনও জায়গায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলিত হবেন বলে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল বিবিসিকে জানিয়েছেন। বাংলাদেশে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি কেন 'সাজানো' ও 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ', সেটাই তার ওই সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করার কথা। তবে লর্ড কার্লাইল যদি ভারতের মাটিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক ক্যাম্পেন চালান - ঢাকা সেটা আদৌ পছন্দ করবে না বলে ইতিমধ্যেই দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কী বলছে বাংলাদেশ সরকার নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, লর্ড কার্লাইল দিল্লিতে আসছেন এ খবর জানাজানি হওয়ার পরই ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন ভারতের কাছে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। এমনকী, দু-তিনদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ভারত সফরে এসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এবং রাম মাধবের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাতের সময় প্রসঙ্গটি উঠিয়েছেন। লর্ড কার্লইলকে ভারতে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি সম্পর্কে ঢাকার পক্ষ থেকে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে সেটি এরকম - লর্ড কার্লাইল খালেদা জিয়ার হয়ে মামলা লড়তে আর্থিকভাবে চুক্তিবদ্ধ। ফলে দিল্লিতে তিনি যে সব কথা বলতে আসছেন সেগুলো একটা 'পেইড রাজনৈতিক ক্যাম্পেনে'র অংশ - যার নিশানা হল বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার পক্ষ থেকে এমন কথাও বলা হয়েছে যে এখন বাংলাদেশ যেভাবে তাদের ভূখন্ডকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হতে দেয় না, সেভাবে ভারতেরও উচিত নয় দিল্লির মাটিকে বাংলাদেশ-বিরোধী প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হতে দেওয়া। বাংলাদেশের একটি শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্র বিবিসি বাংলাকে এমনও বলেছেন, "লর্ড কার্লাইল ভারতে এসে তাজমহল বেড়াতে যান, ইন্ডিয়া গেটে হাওয়া খান - আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু দিল্লি সফরকে তিনি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারে কাজে লাগান - তাও আবার পয়সা নিয়ে - সেটা মোটেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনও ভাল সঙ্কেত দেবে না।" প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। দিল্লি সসফরের সময় তিনি লর্ড কার্লাইলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। চাপের মুখে ভেন্যু বাতিল লর্ড কার্লাইল চেয়েছিলেন ১৩ জুলাই দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব বা এফসিসি-তে তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি হবেন এবং সেভাবে ওই ক্লাবের মিলনায়তনটি প্রাথমিকভাবে বুকিংও করে রেখেছিলেন। কিন্তু ওই একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতও ক্লাবে আসছেন, এই যুক্তিতে শেষ মুহুর্তে এফসিসি তার বুকিং বাতিল করে দিয়েছে। ফলে লর্ড কার্লাইল এখন দিল্লিতেই অন্য কোনও জায়গায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হচ্ছেন - আর তার দিনটাও একদিন এগিয়ে এনে ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। তবে গত রাতে তিনি বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছেন, তার দিল্লি সফর মোটেও বাতিল হচ্ছে না - এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান, সেটাও দিল্লিতে অবশ্যই বলবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কোথায়, কটার সময় তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি হবেন - সেগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি, যাতে এফসিসি-র মতো তারাও না শেষ মুহুর্তে কোনও কারণে বেঁকে বসে। আরও পড়ুন: থাই গুহায় উদ্ধার কাজ: এই ডুবুরিরা কারা? বেলজিয়াম-ফ্রান্স: 'জিভে জল আসার মতো ম্যাচ হবে' ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা পেয়েছেন লর্ড কার্লাইল? গত সোমবার লর্ড কার্লাইল বিবিসিকে বলেন, তার ভারতীয় ভিসা হয়ে গেছে। আসলে ব্রিটিশ নাগরিকরা এখন ভারতে যাওয়ার জন্য সফরের অনেক আগেই ই-ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসার আবেদন করে রাখতে পারেন, আর সচরাচর তা মঞ্জুরও হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে , লর্ড কার্লাইলের ভিসার অবেদনেও ভারতের সিলমোহর পড়ে গেছে অনেক আগেই। আর একজন প্রবীণ ব্রিটিশ লর্ড ও বিখ্যাত আইনজীবীর ভিসা বাতিলের যুক্তি খাড়া করাও ভারত সরকারের জন্য মুশকিল। দিল্লির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই কারণেই বাংলাদেশ সরকারের স্পষ্ট আপত্তি সত্ত্বেও দিল্লি কিন্তু লর্ড কার্লাইলের ভারত সফর বাতিল করতে পারছে না। কিন্তু সরকারি মহলের প্রভাব খাটিয়ে দিল্লিতে তার কর্মসূচীতে বাধা তৈরি করার চেষ্টা একটা আছে, সেই ইঙ্গিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও দিল্লিতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রাজু আহমেদ এবং তার চাচা ভেলোরের একটি গেস্ট হাউজে আটকা পড়ে আছেন। দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ভারতে লকডাউন না-মেটা অবধি তাদের ধৈর্য ধরারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে সেই সঙ্গেই তারা বলেছে, যদি কোনও একটি শহরে একসঙ্গে অনেক বাংলাদেশী আটকা পড়ে থাকেন এবং তারা নিজের খরচে ও কোয়ারেন্টিনের শর্ত মেনে দেশে ফিরতে রাজি থাকেন – তাহলে তাদের ফেরানোর রাস্তা খোঁজা যেতে পারে, যদিও তাতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে বা বেড়াতে এসে ভারতে আটকে পড়া বহু বাংলাদেশীই বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা যে কোনওভাবে দ্রুত দেশে ফিরতে ইচ্ছুক – কারণ ভারতে তাদের জন্য এখন প্রতিটা দিন কাটানোই খুব মুশকিল হয়ে পড়ছে। বস্তুত ভারত তাদের সীমান্ত সিল করে দেশে আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করার পর প্রায় দুসপ্তাহ কেটে গেছে। এর মধ্যে ব্রিটেন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র বা কাতারের মতো বেশ কয়েকটি দেশ বিশেষ ফ্লাইটে করে তাদের আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনই সে রাস্তায় যাওয়ার কথা ভাবছে না। সিএমসি ভেলোর, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে আটকা পড়েছেন বহু বাংলাদেশী। বরং দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ভারত সরকার যেহেতু এই লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যকীয় চলাচল ছাড়া সব ধরনের মুভমেন্ট বা সফর নিরুৎসাহিত করছে – তাই ভারতে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদেরও উচিত হবে ‘যে যেখানে আছেন’ আপাতত সেখানেই অপেক্ষা করা। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে ভেলোরের সিএমসি-তে নিকটাত্মীয়র চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা রাজু আহমেদ বলছিলেন, তাদের পক্ষে প্রতিটা দিন কাটানোই এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ভেলোর থেকে টেলিফোনে তিনি বলছিলেন, “আমার ছোটকাকার অপারেশন করাতে এসেছিলাম, কিন্তু সে সব মিটে যাওয়ার পর এখন মহা বিপদে পড়েছি।” “পেশেন্টের ঠিকমতো যত্ন করতে পারছি না, লকডাউনে দোকানপাট প্রায়ই বন্ধ থাকায় জিনিসিপত্রও ঠিকমতো পাচ্ছি না। রান্না জানি না, এর মধ্যেই কোনওক্রমে রান্না করে কাকাকে খাওয়াচ্ছি।” “ভেলোরে এরকম বাঙালির সংখ্যা অনেক, তাদের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে – আমরা সবাই খরচ দিতেও রাজি আছি। কিন্তু সরকার আমাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করুক!” “পেশেন্ট তো রোজ কান্নাকাটি করে, কবে দেশে যামু! চলাফেরা নাই, নার্সিং নাই – এই কষ্ট আর দেখা যায় না”, রীতিমতো কাঁদো কাঁদো শোনায় রাজু আহমেদের গলা। ভেলোর ও নিকটবর্তী মেট্রো শহর চেন্নাইতে এভাবে চিকিৎসা করাতে এসে আটকে পড়া বাংলাদেশীর সংখ্যাই কম করে শ’পাঁচেক হবে বলে তারা জানাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে স্বামীর ও নিজের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ঢাকার রোজিনা আখতার – তিনিও নিজের দেশের সরকারকে আর্জি জানাচ্ছেন যে কোনওভাবে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক – এবং তারা সবাই মিলে এর খরচ দিতেও প্রস্তুত। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বাংলাদেশ হাইকমিশন, দিল্লি। রোজিনা আখতার এদিন বলছিলেন, “অবশ্যই আমরা দেশে যেতে চাচ্ছিলাম। আমাদের যেদিন ফেরার কথা, তার ঠিক আগের দিন সব ফ্লাইট ক্যানসেল হওয়াও আমরা এখানে আটকা পড়ে গেছি। এখন সরকারের উচিত একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা।” “অবশ্যই আমরা এর খরচ দিতেও তৈরি আছি, তাতে কোনও সমস্যা নাই। কিন্তু সরকার তো কোনও সিদ্ধান্তই নিতেছে না!” “তাদেরকে একটা জিনিস বুঝতে হবে, আমরা কেউ এখানে স্থায়ীভাবে থাকি না – চিকিৎসার জন্য এসেছি। আর বিরাট টাকাপয়সা নিয়েও তো আসি নাই। এখন বাড়িভাড়া, থাকা-খাওয়ার খরচ কে সামাল দেবে বলুন? তারা তো যেখানে আছেন, সেখানে থাকেন বলেই খালাস!” “আর যদি জানতাম আট-দশদিন পরে নিশ্চিত দেশে ফেরা যাবে, তাও বুঝতাম। ভারতে কবে যে লকডাউন উঠবে, ১৪ তারিখের পর আরও বাড়াবে কি না তাও তো কিছু জানি না!”, প্রবল অনিশ্চয়তা মেশানো সুরে বলেন রোজিনা আখতার। চেন্নাইয়ের মতো যে সব শহরে একসঙ্গে অনেক বাংলাদেশী আটকা পড়েছেন, তাদের ফেরানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতে পারে বলেও বাংলাদেশ দূতাবাস ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে সে প্রক্রিয়া যে সময়সাপেক্ষ হবে সেটাও তারা জানিয়ে রেখেছেন। এদিকে ভারতে বেড়াতে এসে হায়দ্রাবাদে আটকা পড়েছেন বাংলাদেশের আনোয়ার হুসেন সুমন, তার জন্য সে সুযোগও বন্ধ। কারণ হায়দ্রাবাদে আটকা পড়েছেন, এমন বাংলাদেশীর সংখ্যা হাতেগানা – প্রায় নেই বললেই চলে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জারি করা সার্কুলার। আধপেটা খেয়েও আনোয়ার হোসেন এখন চেষ্টা করছেন যদি কোনওভাবে কলকাতা চলে যাওয়া যেত – সেখান থেকে সড়কপথে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করতেন। বিবিসিকে তিনি মোবাইল টেলিফোনে বলছিলেন, “যাওয়ার কোনও উপায় থাকলে আমি কবে বেরিয়ে পড়তাম। কিন্তু সব কিছুই যে এখন ব্লকড! ওদিকে ঢাকায় আমার ফ্যামিলিও খুব ক্রাইসিসে আছে, কিন্তু আমি এখানে আটকা পড়ে!” “সব মিলিয়ে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। একপ্রকার বলতে পারেন না খেয়েই দিন কাটাচ্ছি। হতাশ না-হওয়ার কারণই নাই!” “হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতা যাওয়া কি না, তার অনেক চেষ্টা করলাম – কিন্তু কোনও প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট পর্যন্ত পেলাম না। আর এটা তো ঢাকা টু চিটাগং না, যে ভেঙে ভেঙে চলে যাব – কলকাতা অবধি প্রায় দুহাজার কিলোমিটার রাস্তা! খুব অসহায় বোধ করছি”, বলছিলেন তিনি। এরকম যে অজস্র বাংলাদেশী নাগরিকের সঙ্গে এদিন আমার কথা হয়েছে, তারা প্রায় প্রত্যেকেই যে কোনওভাবে অবিলম্বে দেশে ফিরতে মরিয়া। ভারতে আটকে পড়া নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারও এযাবত বিশেষ তৎপরতা দেখায়নি বলে তাদের অভিমত – আর সেই হতাশা তারা গোপনও করছেন না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হওয়ার কারণে যে বাংলাদেশী নাগরিকরা সে দেশে আটকা পড়েছেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের এখন যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
জয়নব মুগলের জন্য দুর্লভ রক্ত চেয়ে সারা দুনিয়ায় সন্ধান চলছে এ বছরেরই প্রথম দিকে জয়নবের দেহে নিউরোব্লাস্টোমা নামে এক রোগ ধরা পড়ে যা খুবই বিরল এবং আগ্রাসী এক ধরণের ক্যান্সার। জয়নবের রক্ত যে গ্রুপ তা অতিশয় দুর্লভ এবং বিরল, কারণ তার রক্তের লোহিতকণিকায় 'ইন্ডিয়ান বি' নামের একটি এ্যান্টিজেন নেই। এ রক্ত পাওয়া যাবে শুধুমাত্র ভারতীয়, পাকিস্তানী বা ইরানীদের মধ্যে যাদের রক্তের গ্রুপ 'ও' বা 'এ' - তাদের মধ্যে। কিন্তু এই ভারতীয়, পাকিস্তানী বা ইরানীদের মধ্যেও মাত্র ৪ শতাংশেরও কম লোক আছে যাদের রক্তে সেই 'ইন্ডিয়ান বি' এ্যান্টিজেনটি অনুপস্থিত। জয়নবের রক্তের গ্রুপ এতই বিরল যে তার সাথে রক্তদাতার রক্তের হুবহু মিল না হলে তার দেহ সেটাকে গ্রহণ করবে না। এ পর্যন্ত ১ হাজার লোকের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে- কিন্তু জয়নবকে দেয়া যাবে এমন রক্তদাতা পাওয়া গেছে মাত্র তিন জন। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া গেছে মাত্র দু'জন দাতা, আর যুক্তরাজ্যে পাওয়া গেছে একজন। ডাক্তাররা বলছে, জয়নবের যথাযথ চিকিৎসার জন্য ৭ থেকে ১০ জন দাতা প্রয়োজন। ওয়ানব্লাড নামে একটি প্রতিষ্ঠান জয়নব মুগলের জন্য এখন বিশ্বের নানা দেশে রক্তের অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওয়ানব্লাডের ফ্রিডা ব্রাইট বলছেন, জয়নবের রক্ত এতই বিরল যে গত ২০ বছরে আমি প্রথম এরকম ঘটনা দেখলাম। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ক্যান্সারকে অলৌকিকভাবে জয় করে সুস্থ হলো যে শিশু বাবা-মায়ের সাথে জয়নব মুগল তিনি বলছেন, জয়নবের জন্য রক্ত পাওয়া গেলেও এতে কিন্তু তার রোগ সারবে না - তবে ক্যান্সার চিকিৎসার ধকল সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি হবে। "কেমোথেরাপির ফলে জয়নবের টিউমারের আকার ইতিমধ্যেই ছোট হয়ে আসছে, কিন্তু তার আরো হাড়ের মজ্জার প্রতিস্থাপন দরকার হবে।" জয়নবের বাবা রাহিল মুগল বলছেন, "তার ক্যান্সার হয়েছে শুনে আমরা অনেক কেঁদেছি।" তিনি এবং জয়নবের মা নিজেরা রক্ত দিতে চেয়েছিলেন -কিন্তু ডাক্তাররা বলেছেন যে তাদের রক্ত জয়নবের শরীর গ্রহণ করবে না। কিন্তু তার পর অন্য অনেকে রক্ত দেবার প্রস্তাব করেন এবং এভাবেই বিষয়টি ছড়িয়ে যায়। রাহিল মুগল বলছেন, দাতারা জয়নবের জন্য যা করছেন তা তাদের অভিভূত করেছে, এবং সেটা তারা কখনো ভুলবেন না।
আমেরিকান মেয়ে জয়নব মুগলের বয়েস মাত্র ২ বছর। এ বয়েসেই সে ক্যান্সারের রোগী। কিন্তু সমস্যা হলো, তার রক্তের গ্রুপ এতই দুর্লভ যে তার চিকিৎসার জন্য রক্ত পেতে শুরু হয়েছে এক বিশ্বব্যাপী অভিযান।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে আন্তর্জাতিক আসবাব ব্যবসার প্রতিষ্ঠান আইকিয়া চীনে তাদের ৩৩টি দোকানের সবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এই ক্ষতি শুধু ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নয়, বরং এর বিস্তার ঠেকানোর জন্য চীনকে বড় ধরনের আর্থিক মাশুল দিতে হচ্ছে। উহান শহর, যেখান থেকে এই সংক্রমণের সূচনা, সেখান থেকে বাইরে যাবার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উহানের জনসংখ্যা এক কোটি দশ লাখ। অবরুদ্ধ শহর এখন শুধু উহান নয়, একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে হুবেই প্রদেশের অন্যান্য এলাকাতেও। এর ফলে ব্যবসা সংক্রান্ত সবরকম ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। পণ্য ও কর্মীদের যাতায়াতও বন্ধ হয়ে গেছে। ভাইরাস ছড়ানোর আশংকার কারণে বহু মানুষ এমন ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার থেকে তাদের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। কাজেই রেস্তোঁরা, সিনেমা, পরিবহন কোম্পানি, হোটেল এবং দোকানবাজার সব কিছুর ওপরই দ্রুত এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর ওপর চীনা চান্দ্র নববর্ষের ছুটির সময় এই স্বাস্থ্য সংকট দেখা দেওয়ায় এই শিল্পগুলো বিশেষ করে বড়ধরনের বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'ঘরের বাইরে যাবেন না', চীনে আরো তিন শহরে নির্দেশ করোনাভাইরাস: বিয়ে বাতিল, শ্রেণীকক্ষ খালি, পাল্টে গেছে জীবন করোনাভাইরাস কি বিশ্ব মহামারীতে রূপ নিতে পারে খুব কম লোকেই গণ পরিবহন ব্যবহার করছে। চীনের জাতীয় কর্তৃপক্ষ নববর্ষের ছুটি আরও কয়েকদিন বাড়িয়ে দিয়েছে এবং কোন কোন প্রদেশে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ছুটির মেয়াদ আরও লম্বা করেছে। কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের আরও দেরি করে কাজে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎপাদনের কাজ এবং পণ্য বিক্রি বেশিদিন বন্ধ রাখলে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত ছোটখাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকেই নানাধরনের বিলের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতনও দিতে হবে। যেসব পণ্য নির্মাতা বিদেশে তাদের পণ্য বিক্রি করে তাদের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে, যেটা হল তারা চীনের কাছ থেকে পণ্য কেনায় অনাগ্রহ দেখাতে পারে। গুয়াংডং প্রদেশে উইং সাং ইলেকট্রিকাল নামে একটি কোম্পানি যারা কোঁকড়া চুল সোজা করান জন্য হেয়ার স্ট্রেটনার এবং চুল শুকানোর জন্য ব্লো-ড্রায়ার তৈরি করে তার মালিক হার্বাট উন বিবিসি নিউজকে বলেছেন, আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের একটা ধাক্কার পর তাদের মত প্রতিষ্ঠানের জন্য এটা গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠতে পারে। ''এই মহামারির কারণে চীন থেকে এই পণ্য না নিয়ে অন্য দেশ থেকে তা আমদানি করার জন্য চাপ বাড়বে।'' কফি বিক্রির প্রতিষ্ঠান স্টারবাকস্ চীনে তাদের সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি শুধু চীনের ভেতরেই সীমিত নয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে যারা খুচরা ব্যবসা করে তারা চীনে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন আসবাব বিক্রির প্রতিষ্ঠান এবং কফির প্রতিষ্ঠান স্টারবাকস্। বেশ কিছু বিমান সংস্থা চীনে তাদের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক হোটেল সংস্থা যারা পৃথিবী জুড়ে হোটেল ব্যবসা চালায়, তারা খদ্দেরদের তাদের হোটেল বুকিংয়ের অর্থ ফেরত দিতে চেয়েছে। এর ওপর রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে যেসব পণ্য সরবরাহের সম্বন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে চীনের ভূমিকা রয়েছে, সেগুলো নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সতেরো বছর আগে যখন সার্স নামে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণের কারণে চীনে বড়ধরনের স্বাস্থ্য সংকটের ঘটনা ঘটেছিল, তার পর থেকে এখন এধরনের পণ্য সরবরাহের নেটওয়ার্কে চীন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি হাইউনডাই তাদের গাড়ি তৈরির কাজ স্থগিত করে দিয়েছে চীন থেকে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরবরাহের অভাবের কারণে। এর সম্ভাব্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব যে ভবিষ্যতে গাড়ির বাজারে পড়তে যাচ্ছে এটা থেকে স্পষ্ট তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী গাড়ি নির্মাণ শিল্পে এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী দেশ হিসাবে চীনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চীন থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহে ঘাটতির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের কারখানায় হাইউন্ডাই গাড়ি তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে। ফক্সওয়াগান ও বিএমডাব্লিউ চীনে গাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে। ৩৭%হাইউন্ডাই গাড়ি তৈরি হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। $৬৬০ মিলিয়ন চীনে জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারকদের প্রতি কর্মদিবসের উপার্জন ৪০চীনে জার্মান গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার সংখ্যা ১০০,০০০চীনে ফক্সওয়াগান কারখানায় কর্মীর সংখ্যা বহু মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার চীনে তৈরি হয়। অনেক ফোন এবং কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ তৈরি হয় চীনে। এই স্বাস্থ্য সংকটের প্রভাব অনুভূত হচ্ছে শেয়ার ও অর্থবাজারেও। বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে দু সপ্তাহ আগের তুলনায় দরপতন হয়েছে। চীনা নববর্ষের ছুটির পর বাজার খোলার প্রথম দিনে চীনের বাজারে মূল্যপতনের হার আট শতাংশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের জন্য কী মাশুল দিচ্ছে চীন? বোদা বা ল্যাংটা এসব নাম নিয়ে সমস্যা কেন? মুসলমানেরা ভারতে থেকে গিয়ে 'ধন্য' করেনি: আদিত্যনাথ এক বছরের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। গত দুসপ্তাহে তেলের দাম পড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। যা চীনে তেলের চাহিদা কমে যাবার প্রতিফলন। চীনের তেল শোধনাগার সাইনোপেক অপরিশোধিত তেলের আমদানি কমিয়ে দিয়েছে বলে খবরে জানা গেছে। তামার দামও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে। নির্মাণ শিল্পে তামা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধারণা করা হচ্ছে তামার এই মূল্যহ্রাসও চীনের ব্যবসাবাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। এইসব পণ্য সরবরাহের জন্য অন্য দেশ এগিয়ে আসছে যেটা চীনের অর্থনীতির জন্য দু;সংবাদ হতে পারে। তবে এই ক্ষতির চেহারা কী দাঁড়াবে তা এখনই বলা কঠিন। চীনা কর্তৃপক্ষ কত দ্রুত এবং কীভাবে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাবে তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ এই ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে কিছু পূর্বাভাস দেবার চেষ্টা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে বছরের প্রথম চার মাসে এই প্রাদুর্ভাবের প্রভাব পড়বে স্মার্টফোন শিল্পের ওপর। ৪ মিলিয়নকমবে আইফোনের চালানের পরিমাণ ২০২০-এর প্রথম কোয়ার্টারে ৩২%আনুমানিক কমবে চীনা স্মার্টফোনের চালান ২০২০র প্রথম কোয়ার্টারে ৫%আনুমানিক হ্রাস চীনা স্মার্টফোনের চালান পুরো ২০২০ সালে অক্সফোর্ড ইকনমিক্স নামে একটি সংস্থা অনুমান করছে ২০২০সালের প্রথম চার মাসে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এক বছর আগের তুলনায় শতকরা ৪ ভাগ কম হবে। এই ভাইরাস সংক্রমণের আগে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস যা ছিল গোট বছরে তার পরিমাণ ০.৪ শতাংশ কম হবে বলে তাদের পূর্বাভাস। তারা আরও বলছে এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ০.২ শতাংশ কমবে। তবে এই পূর্বাভাস তারা বলছেন সঠিক হতে পারে একমাত্র চীন এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সফল হলে। নাহলে অর্থনীতিতে এর সূদুরপ্রসারী প্রভাব হবে আরও মারাত্মক।
চীন ও চীনের বাইরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মানুষের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হবার হারই যে শুধু বাড়ছে তাই নয়, এর অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে, প্রধানত চীনের ভেতরে, এমনকী বাইরেও।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দীপিকা পাডুকোন বলিউডের সবচেয়ে দামী তারকাদের একজন এই ঘটনায় যে ৬ জনকে তলব করা হয়েছে দীপিকা পাডুকোন তাদের একজন। শনিবার এই একই তদন্তে আরো দুজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীকে এর আগে এ মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মাদক কিনেছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এই মামলাটি ভারতের গণমাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং নানা রকম জল্পনা চলছে। শনিবার অন্য যে দুজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হচ্ছেন সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুর। এর আগে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরেকজন অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং-কে। ৩৪ বছর বয়স্ক সুশান্ত সিং রাজপুতকে গত ১৪ই জুন মুম্বাইতে তার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ বলেছিল তিনি আত্মহত্যা করেছেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে দীপিকা পাডুকোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কিন্তু পরবর্তীকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে বলা হয় তিনি এই আত্মহত্যায় এবং অন্য কিছু অপরাধে প্ররোচনা দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ রিয়া চক্রবর্তী অস্বীকার করেন। ভারতের তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন এই মামলার তদন্ত করছে। তবে এসব তদন্তের খুব ছিটেফোঁটা তথ্যই গণমাধ্যম জানতে পারছে। ফলে আদতে কী ঘটেছিল এবং তাতে কারা জড়িত ছিল তা নিয়ে গুজব এবং জল্পনা ব্যাপক রূপ নিয়েছে। মামলা কী নিয়ে ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড দুটি তদন্ত নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এর একটি রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই এবং রাজপুতের বাসার সাবেক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতকে গাঁজা সেবনে সহায়তা এবং গাঁজা জোগান দেয়ার অভিযোগে। তবে তারা এরকম কোন কাজে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় তদন্তটি চলছে বলিউডের তারকাদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে। এসব তদন্তের ব্যাপারে কর্মকর্তারা কোন তথ্য জানাচ্ছেন না। যার ফলে এই তদন্ত নিয়ে রহস্য আরো বেশি দানা বাঁধছে। আরও পড়ুন: জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে বান্ধবী রিয়া গ্রেপ্তার হলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী রিয়া চক্রবর্তীর প্রতি সংবাদমাধ্যমের 'শকুনের মত' আচরণের অভিযোগ অভিনেত্রী সারা আলি খানকেও তলব করে নারকোটিকস বোর্ড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে রিয়া চক্রবর্তীর ওপর। তাকে ঘিরে অনেক অভিযোগ আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ডের কর্মকর্তারা হোয়াটসঅ্যাপে চালাচালি করা মেসেজ পরীক্ষা করে দেখছেন। হোয়াটসঅ্যাপের এসব মেসেজে নাকি রিয়া চক্রবর্তী মাদক নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন। ভারতে মারিজুয়ানা সেবন অবৈধ। তবে এটি থেকে তৈরি করা আরেকটি মাদক, যা ভারতে ভাং নামে পরিচিত, সেটি নেয়া বৈধ এবং বহু মানুষ এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। এই ঘটনার সঙ্গে দীপিকা পাডুকোনের সম্পর্ক কোথায় এটি খুব পরিষ্কার নয়। নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করার সময় পাডুকোন এবং তার ম্যানেজার যে সব কথাবার্তা বলেছেন তার সূত্র ধরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে এরকম খবরই বেরিয়েছে। তবে এসব মেসেজে ঠিক কী আছে সেটা স্পষ্ট নয়। সুশান্ত সিং রাজপুত রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ২০১৯ সালে অনেকে বলছেন দীপিকা পাডুকোনকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ তিনি গত জানুয়ারি মাসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের এক বিক্ষোভ দেখতে গিয়েছিলেন। এই ছাত্রদের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক ছাত্ররা হামলা করেছিল। বিজেপির সর্মথকরা অবশ্য দাবি করছেন দীপিকা পাডুকোন তার নতুন চলচ্চিত্রের জন্য প্রচার পাওয়ার লোভে এসব করছেন। বিজেপি এই ছবিটি বর্জন করার জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি জানাচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তারা যে সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম বলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এই তদন্তে কেবলমাত্র অভিনেত্রীদেরই কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেন অভিনেতাদের নয়। একজন অভিনেতার মৃত্যুর বিষয় নিয়ে যে তদন্তের শুরু, সেটি এখন একেবারেই ভিন্ন একটি রূপ নিয়েছে। বলিউডের অনেক নামকরা তারকাই যখন এই মামলায় মনোযোগের কেন্দ্রে, তখন মামলাকে ঘিরে মিডিয়ার মাতামাতি এখন একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এই খবরটিই এখন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিছু টেলিভিশন চ্যানেল যেরকম আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে এই ঘটনার খবরা-খবর দিচ্ছে সেটা রীতিমত হাস্যকর রূপ নিয়েছে। রিয়া চক্রবর্তীর পেছনে উঠে-পড়ে লেগেছে ভারতীয় গণমাধ্যম সুশান্ত সিং রাজপুতের আশেপাশের যারা ছিলেন, কয়েক মাস ধরে মিডিয়া তাদের কাউকেই রেহাই দেয়নি। তার চিকিৎসক, বন্ধু, সহকর্মী, পরিবার- এমনকী তার সাবেক বাবুর্চিকে পর্যন্ত খুঁজে বের করা হয়েছে ইন্টারভিউ এবং এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের জন্য। যেহেতু তদন্তের ব্যাপারে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা, তাই যেটুকু সামান্য তথ্য পাওয়া গেছে বা যেটুকু তথ্য ফাঁস হয়েছে নিউজ চ্যানেলগুলো তার বিশ্লেষণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা চালিয়েছে। রিয়া চক্রবর্তী যে রাজপুত সিং এর অর্থকড়ির ব্যাপারে জড়িত ছিলেন সেটা প্রমাণ করার জন্য একটা টেলিভিশন চ্যানেল তার ফোনের মেসেজ পর্যন্ত বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। একজন অনুষ্ঠান উপস্থাপক একটা মেসেজের প্রতি ইঙ্গিত করেন, যেখানে 'ইমা বাউন্স' বলে একটা কথা ছিল। এই উপস্থাপক কথাটার মানে ব্যাখ্যা করেন এই বলে যে, এর মানে হচ্ছে একটা বাউন্স হওয়া চেক। এই ব্যাখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজনের বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দ্রুতই জানান, ইমা বাউন্স কথাটি ব্যবহার করেন একেবারে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। 'আই এম গোয়িং টু লিভ' কথাটার বিকল্প হিসেবে তারা ইমা বাউন্স কথাটি বলে থাকেন। এই ঘটনাটি মিডিয়া যেভাবে কভার করেছে সেটা নিয়ে রীতিমত হাসাহাসি চলছে। অনলাইনে এ নিয়ে অনেক মিম শেয়ার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই মামলাটি নিয়ে গণমাধ্যম যে পরিমাণ সময় ব্যয় করেছে সেটা ভারতের সামনে এখন যেসব জ্বলন্ত সমস্যা, তা থেকে নজর ভিন্ন দিকে সরিয়ে দিয়েছে কিনা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে ভারত এখন বিশ্বে দুই নম্বর অবস্থানে। ভারতের অর্থনীতি এখন মারাত্মকভাবে সংকুচিত হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের এখন মারাত্মক অবনতি ঘটছে। আর ঠিক এরকম একটা সময়ে ভারতের গণমাধ্যম মেতে আছে এই ঘটনা নিয়ে।
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোনকে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দফতর নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
যে কোন বয়সের মানুষই অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হতে পারেন শরীরে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই কেবল মানুষ জাগতিক কাজকর্ম করে থাকে। কিন্তু সূর্যের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল তাপমাত্রা নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় ঠাণ্ডা রাখার জন্য শরীরকে বাড়তি কাজ করতে হয়। এর ফলে ত্বকের কাছাকাছি রক্তবাহী ধমনীগুলো তীব্র তাপ চারপাশে ছড়িয়ে দিতে বেশি করে কাজ করতে শুরু করে, আর তখনই ঘাম হতে শুরু করে। সে শ্বেতবিন্দুর সঙ্গে শরীর থেকে ক্রমে তাপ বেরিয়ে যেতে থাকে। কখন সমস্যা হয়? শুনতে খুব সাধারণ শোনালেও, শরীরের জন্য ব্যপারটি মোটেও সহজ নয়। যত গরম, মানব শরীরের জন্য তা সামলানো তত কঠিন। অতি গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে ত্বকের নিচের ধমনীগুলো যখন খুলে যেতে থাকে, তখন রক্তচাপ কমে যায় এবং হৃদপিণ্ডের কাজ বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সবখানে রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদপিণ্ডকে তখন দ্রুত পাম্প করতে হয়। এর ফলে শরীরে হালকা র‍্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে, মানে ছোট ফুসকুড়ি মতন যা চুলকাতে পারে। অথবা কারো পা ফুলে যেতে পারে গরমে। কিন্তু রক্তচাপ বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। সেই বেশি ঘামের কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে। গরমে ছায়ায় থাকুন সাথে দেখা দিতে পারে কিছু উপসর্গ---মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে পড়া, বমি ভাব, মাংসপেশিতে খিচ ধরা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ এবং মনে দ্বিধার ভাব হওয়া। কাউকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত? অতিরিক্ত গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তাতে তিনি সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়। তীব্র গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত, সে বিষয়ে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। • ঐ ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে • শুইয়ে দিতে হবে, এবং তার পা কিছুটা ওপরে তুলে দিতে হবে • প্রচুর পানি বা পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, পানিশূন্যতা দূর করার পানীয় দেয়া যেতে পারে • আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে, ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে মুছে দেয়া যেতে পারে শরীর। বগলের নিচে এবং ঘাড়ে গলায় ঠাণ্ডা পানি দেবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যে যদি সুস্থ না হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির হিট স্ট্রোক হবার আশংকা রয়েছে। স্পেনে এ বছর অতিরিক্ত গরম পড়েছে কালক্ষেপণ না করে তক্ষুনি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। হিটস্ট্রোক হলে মানুষের ঘেমে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ঐ ব্যক্তি। কাদের ঝুঁকি বেশি? অতি গরমে স্বাস্থ্যবান মানুষের হিট স্ট্রোক হবার আশংকা কম। কিন্তু কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন। শুরুতেই বৃদ্ধ এবং যাদের আগে থেকেই অসুস্থতা রয়েছে, তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে বেশি। যাদের ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান বা টু, রয়েছে তাদের শরীর দ্রুত পানি শূণ্য হয়ে পড়ে, এবং কিছু জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয় বেশি গরমে। অনেক সময় তারা নিজেদের অস্বস্তির কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না, যে কারণে মা-বাবারা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারে না। ওষুধের কারণে কি ঝুঁকি বাড়ে? হ্যাঁ। কিন্তু মানুষ তো সাধারণত কোন সমস্যার জন্যই ওষুধ খায়, ফলে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য তাদের ভিন্ন ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। হার্ট অ্যাটাক বা হিট স্ট্রোক ছাড়াও আরো নানা ধরণের জটিলতার মধ্যে পড়ে শরীর। যেমন পানি ছাড়াও শরীরের নানা রকম খনিজ উপাদান বেরিয়ে যায় ঘামের সঙ্গে। কিছু রোগের ওষুধ, যেমন মৃগীরোগ ও পারকিনসন্সরোধী ওষুধের কারণে গরম বাড়তে পারে। এছাড়া লিথিয়াম রয়েছে এমন ওষুধেও বাড়তে বাড়ে গরমের বোধ। গরমে কি মানুষ মারা যায়? হ্যাঁ। সারা পৃথিবীতেই গরমের কারণে মানুষের মৃত্যুর কথা শোনা যায়। ব্রিটেনে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায় গরমে। পুরানো রেকর্ডে দেখা যায় তাপদাহ শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষ বেশি মারা যায়। ২০০৩ সালে ইউরোপ জুড়ে তাপদাহে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। তাপদাহের সময় কী করা উচিত? করণীয় একেবারে সাদামাটা---ঠাণ্ডা থাকুন আর শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না। গরমে রোদের মধ্যে কাজ না করা এবং বেশি পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকা ভালো। ঘরে দিনের বেলাতে পর্দা টেনে দিন। প্রচুর পানি এবং দুধ পান করুন। সাধারণত দিনের বেলাতেই গরমে বেশি হয়। কিন্তু রাতের অতি গরমও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
হিমশীতল বা লু-হাওয়া যে তাপমাত্রাই হোক না কেন, মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া তার নিজের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে নির্দিষ্ট রাখতে চায়।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
জাহালম বিচারপতিএআএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। এক মাসের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংককে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। 'ভুল আসামি' হয়ে দুদকের ২৬ মামলায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে গত বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান জাহালম। আবু সালেক নামে একজনের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় আবু সালেকের বদলে কারাভোগ করতে বাধ্য হন জাহালম। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্ট তাকে মুক্ত করার আদেশ দেন। আরো পড়তে পারেন: জাহালমকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কারাগারে কেমন ছিলেন 'নির্দোষ' জাহালম 'কাগজপত্র পায়নাই তাই সাড়ে তিন বছর বেশি জেল খাটলাম' কে এই জাহালম ? টাঙ্গাইলের নাগরপুরের জাহালম ছিলেন একজন পাটকল শ্রমিক এবং কাজ করতেন নরসিংদীর একটি পাটকলে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এ মামলার জের ধরে নরসিংদী থেকে তাকে আটক করা হয়েছিলো আবু সালেক হিসেবে। ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় একজন আসামী ছিলো আবু সালেক। পরে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে জাহালম নিরপরাধ এবং তিনি আবু সালেক নন। এর ধারাবাহিকতায় পরে আদালতের নির্দেশে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর চলতি বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান জাহালম।
ভুল আসামী হয়ে বিনা দোষে কারাভোগ করতে বাধ্য হওয়া পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ব্র্যাক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
চীনের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে গুগলের কিছু সফটওয়্যার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরে ভালোই বিপদে পড়েছে গুগলের ভীষণ জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপ-- ইউটিউব, গুগল ম্যাপ, জিমেইল এর মত অ্যাপগুলোর ওপর মানুষ কতটা নির্ভরশীল, তার ওপর নির্ভর করছে এই চীনা কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুয়াওয়েকে এমন একটি তালিকায় রাখা হয়েছে যে তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন আমেরিকান কোম্পানি লাইসেন্স ছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। গুগলের এ সিদ্ধান্তের ফলে হুয়াওয়ে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কিছু আপডেট করতে পারবে না এবং কয়েকটি গুগল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না। হুয়াওয়ে তরতর করে সামনে আগাচ্ছিল, সম্প্রতি স্মার্টফোন বিক্রিতে হুয়াওয়ে জনপ্রিয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকেও ছাড়িয়ে যায়। মোবাইলে গুগল অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারলে মানুষ কতটা গ্রহণ করবে ওই ফোন, বা আদৌ করবে কিনা এ নিয়ে ভাবছেন এই চীনা প্রতিষ্ঠানটি। চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: জুতার দাম যেভাবে বাড়বে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: দেখে নিন বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে, কখন ভারতের ভোটের ফল জানতে দেরী হতে পারে কেন? গুগল সার্চ শুরুতে গুগল ছিল সার্চ ইঞ্জিন প্রোভাইডার। ইন্টারনেটে যে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিন প্রোভাইডারগুলোর মধ্যে এখনো গুগলই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পৃথিবীজুড়ে ৮৯ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটে কিছু খুঁজতে হলে গুগলে খোঁজে। গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন, বাইদু, আসলে এর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বীও নয়। ৮ শতাংশ লোক বাইদু ব্যবহার করে, যাদের বেশিরভাগই চীনে বাস করে। চীনে গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চীনে হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীদের ওপর গুগলের নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না এটা যেমন সত্যি, তেমনি এটাও সত্যি যে পৃথিবীর বাকি সব দেশে, যেখানে গুগল ছাড়া মানুষ চলতেই পারে না, সেখানে এ নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রিতে বেশ ভাটা পড়বে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্ট ফোন নির্মাতা এই চীনা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে গুগলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ছাড়াই চলতে হবে ইউটিউব ২০০৬ সালে ইউটিউব কিনে নেয় গুগল। ইউটিউব এতটাই জনপ্রিয় যে এটি একটি নতুন পেশার সৃষ্টি করেছে। যার নাম ইউটিউবার। আপনি যদি কম্পিউটারে গেইম খেলায় বেশ দক্ষ হন, কিংবা ভালো মেকআপ করতে পারেন অথবা অন্য কোনো কিছু শেখান— লাখ লাখ লোক আপনার ভিডিও দেখতে পারে, আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে পারে আর রাতারাতি আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি! ফোর্বস ম্যাগাজিন এর প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর শীর্ষ ১০ ইউটিউবার মোট ১ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে। মানুষের খ্যাতি ও অর্থের বাসনাকে প্রভাবিত করে ভালোই কামিয়েছে ইউটিউব। তবে এই একটি ক্ষেত্রেই গুগলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মার্কেটিং কোম্পানি সেন্সর টাওয়ারের হিসাব মতে, ২০১৮ সালে যে অ্যাপগুলো সবচেয়ে বেশি ডাউন লোড করা হয়েছে তার মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে টিকটক। ২০১৬ সালে প্রথম এই অ্যাপ বাজারে আসে। এ অল্প কদিনেই টিকটক নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটিতে পৌঁছেছে। বাইটড্যান্স নামের এক চীনা কোম্পানি প্রথমে 'ডোয়িন' নামে এ অ্যাপ চালু করে। এখনো চীনে এ অ্যাপ ডোয়িন নামেই পরিচিত। এ অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি খুবই ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও বানাতে পারবেন। ইউটিউব তো বটেই, এটি ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তাকে আরো বেশি হুমকির মুখে ফেলেছে। আবার এটিও প্রমাণ করেছে যে মানুষের রুচি কত দ্রুত বদলে যেতে পারে। ইউটিউব এখন গুগলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। প্রায় ১৮ কোটি লোক ইউটিউব ব্যবহার করে। তবে এ চিত্র পাল্টে যাওয়াও অসম্ভব কিছু না। নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাবের ফলে এই অ্যাপও হয়ত একদিন তার জনপ্রিয়তা হারাবে। গুগল ম্যাপ গুগল ম্যাপ খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ। এর একটি বড় কারণ এর কোনো ভালো বিকল্প না থাকা। ২০১২ সালে অ্যাপল তাদের নিজস্ব ম্যাপ তৈরি করেছিল বটে, তবে সেটি বিস্তারিত তথ্যের অভাব ও ভুলভাল দিকনির্দেশনার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। ম্যাপ নিয়ে সমস্যা এতই প্রকট হয় যে, অ্যাপল তাদের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের ম্যাপ ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে। এক জরিপে জানা গেছে, ৬৯ শতাংশ আইফোন ব্যবহারকারী অ্যাপলের ওই অ্যাপের চেয়ে গুগল ম্যাপ বেশি পছন্দ করে। তবে সার্চ ইঞ্জিনের মতই, চীনে গুগল ম্যাপের তেমন জনপ্রিয়তা নেই। চীনে বাইদু'র ম্যাপিং সফটওয়্যারই বেশি জনপ্রিয়। বাইদুর নতুন ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড ম্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি। তারা চীনের বাইরেও তাদের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে চায়। তারা হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ গুগল অ্যাপগুলোর বিকল্প হিসেবে তাদের অ্যাপগুলো ব্যবহারের প্রস্তাব দিতে পারে। টিকটক বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ নতুন সফটওয়্যার আসার সম্ভাবনা এতদিন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে দুইটি প্ল্যাটফর্ম ছিল। আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আইওএস আর অন্য ডিভাইসগুলোতে অ্যানড্রয়েড ব্যবহার করা হত। হুয়াওয়ের ওপর গুগলের এই নিষেধাজ্ঞার পরে হয়ত তৃতীয় কোনো অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসতে পারে। ''আমেরিকান প্রশাসন আমাদের শক্তিকে খাটো করে দেখছে। আমরা আমেরিকান সফটওয়্যার ছাড়াই চলতে পারি।'' চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে একথা বলেছেন হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই। হুয়াওয়ে আমেরিকার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরেমি থম্পসন বলেছেন, ''আমরা নতুন পরিকল্পনা করছি। তবে সেটা কী হবে তা এখনই বলা যাবে না।'' ''আমরা নতুন বিকল্প তৈরির চেষ্টা করছি। যেটা আমাদের ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে।'' হুয়াওয়ে নতুন বিকল্প তৈরি করা মানে অ্যাপল ও অ্যানড্রয়েডের বাইরে আরো কিছু প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়া। তবে এই প্রতিযোগিতায় কে জিতবে তা বলা মুশকিল। এই চীনা কোম্পানি হয়ত তাদের নিজের দেশের বাজার ও সরকারের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করবে। আরেক আমেরিকান জায়ান্ট টেক কোম্পানি মাইক্রোসফট একসময় আমেরিকার মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমের ৪২ শতাংশ দখল করেছিল। শেষ পর্যন্ত তারা বাজারে টিকতে পারেনি। একসময়ের জনপ্রিয় মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি নোকিয়া কিনে তারা তাদের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল যা পরে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্ট ফোন কোম্পানি হুয়াওয়ে গুগলের কিছু সফটওয়্যার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরে ভালোই বিপদে পড়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে ১৫ই মে কাতারের রাজধানী দোহায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন। কাতার গাযায় লড়াই বন্ধে মধ্যস্থতা করছে বলে জানা গেছে। এমন তুলনা হয়তো মোটা দাগের ক্রুদ্ধ একটি প্রতিক্রিয়া, কিন্তু একথা সত্যি যে ইসরায়েল গাযায় তাদের বিমান হামলার যুক্তি হিসাবে হামাসের রকেট ছোঁড়াকে দায়ী করলেও ফিলিস্তিনিরা এখনও তার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় গাযার শত শত বাসিন্দা বলছেন টানা সাতদিন ধরে ইসরায়েলি বোমার যে ধ্বংসযজ্ঞ তা নজিরবিহীন। অনেকে লিখছেন যে কোনো সময় প্রাণ যেতে পারে এই আশঙ্কায় পরিবারের সব সদস্য এখন বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে থাকছেন যাতে মরলে তারা একসাথে মরতে পারেন। সাংবাদিকরাও লিখছেন ২০১৪ সালে যখন ইসরায়েল গাযায় স্থল অভিযান চালিয়েছিল তখনও পরিস্থিতি এত ভীতিকর হয়নি। ইসরায়েল বলছে তারা হামাসের রকেট হামলার জবাব দিচ্ছে, এবং তাদের টার্গেট হামাসের নেতৃত্ব এবং তাদের সামরিক ক্ষমতা খর্ব করা। কিন্তু হামাস যে ভয় পেয়ে তাদের তৎপরতায় ক্ষান্ত দিয়েছে তার কোনো লক্ষণ এখনও নেই। সোমবারও তারা গাযা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের একাধিক শহরে রকেট ছুঁড়েছে। দশই মে সোমবার রাতে গাযায় ইসরায়েলি বিমান হামলার শুরুও হয়েছিল গাযা থেকে ইসরায়েলের ভেতর হামাসের রকেট এসে পড়ার পর। রোজার ভেতর জেরুসালেমে আল আকসা মসজিদ এবং আশপাশে ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপানো নানা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, কট্টরপন্থী ইহুদিদের উস্কানি বন্ধ এবং জেরুসালেমের শেখ জারা এলাকা থেকে ছয়টি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাতের উদ্যোগ বন্ধের জন্য হামাস ইসরায়েল সরকারকে ১০ই মে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়। ইসরায়েল তার তোয়াক্কা না করলে গাযা থেকে এক-ঝাঁক রকেট এসে পড়ে জেরুসালেমের উপকণ্ঠ সহ দক্ষিণ ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। হামাসের সাথে চলতি বিরোধের রাজনৈতিক ফায়দা পাবেন তিনি প্রায় সাথে সাথে গাযায় শুরু হয় ইসরায়েলের বিমান হামলা যে তাণ্ডবের মাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে, এবং কবে তা শেষ হবে তার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনও নেই। আরও পড়তে পারেন: জেরুসালেম হারানোর ভয় প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিশোধের প্রায় শতভাগ ঝুঁকি সত্ত্বেও ১০ই মে ইসরায়েলের ভেতর হামাস রকেট ছুঁড়ল কেন? তাদের জন্য এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য এর সম্ভাব্য পরিণতি কী? লন্ডনে রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ সাদি হামদি মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দিনদিন আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে যে পূর্ব জেরুসালেম এবং আল আকসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসরায়েল এখন মরিয়া এবং হামাস মনে করেছে ইসরায়েলকে প্রতিরোধের জন্য যে কোনো ঝুঁকি তাদের নিতে হবে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "ইসরায়েলের বহুদিনের কৌশলই হচ্ছে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যাতে নিজে থেকেই ফিলিস্তিনিরা চলে যায়। বেন গুইরান (ইসরায়েলি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা) নিজে তার জীবনীতে এই কৌশলের কথা লিখেছেন। অব্যাহত চাপের মুখে নানা সময়ে বহু জায়গা ফিলিস্তিনিরা ছেড়েও দিয়েছেন। ব্যতিক্রম হলো পূর্ব জেরুসালেম এবং আল আকসা। ফিলিস্তিনিরা এখানে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে, কারণ তারা মনে করে এই শহরটি হারালে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।" জেরুসালেমে যা চলছিল তা নিয়ে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রশাসন তেমন সোচ্চার হয়নি। সৌদি আরব বা অন্য আরব মুসলিম দেশগুলো কম-বেশি চুপ ছিল। তুরস্ক কিছু মৌখিক বোলচালের বাইরে কিছু করেনি। "এই শূন্যতার মধ্যে হামাস হয়তো মনে করেছে জেরুসালেম নিয়ে তাদেরই এখন কিছু করতে হবে। চরম ঝুঁকি স্বত্বেও তারা ইসরায়েলকে বার্তা দিতে চেয়েছে জেরুজালেম নিয়ে তাদের পরিকল্পনার পরিণতি রয়েছে,“ বলেন মি. হামদি। ১৬ই মে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল হামাসের রকেট ছোঁড়ার পর যে লড়াই এখন শুরু হয়েছে তা থামানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দূত পাঠিয়েছেন ইসরায়েলে। দুদিন আগে তিনি প্রথম টেলিফোনে করেছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে হামাসের সাথে কথা বলার জন্য আমেরিকার পক্ষ থেকে কাতারকে মধ্যস্থতা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে এই লড়াইয়ের দুই পক্ষের মধ্যে লাভ-ক্ষতির সমীকরণ। হামাসের পরিণতি লন্ডনে গবেষণা সংস্থা চ্যাটাম হাউজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক মোহামেদ এল দাহশান বলেন, সাময়িকভাবে হামাস দুর্বল হয়ে পড়বে, কিন্তু সংগঠন হিসাবে তারা গাযা থেকে নিশ্চিহ্ন হবে বা গাযায় তারা নিয়ন্ত্রণ হারাবে সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। “গাযায় ক্ষমতার শূন্যতা নিয়ে ইসরায়েল উদ্বিগ্ন। সুতরাং তারা হামাসকে সংগঠন হিসাবে ধ্বংস করতে চায়না। তারপরও হামাসের রকেট, তাদের রাজনীতি ইসরায়েলকে অনেক সুবিধা দেয়। বহু বহু ফিলিস্তিনি হামাসকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করে, এবং ফিলিস্তিনিদের নিজেদের মধ্যে এই বিরোধ বৈরিতা ইসরায়েলকে সুবিধা দেয়।“ তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা জেরুজালেম ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড সিকিউরিটি‘র (জেআইএসএস) গবেষক ড. জনাথন স্পায়ার মনে করেন চলতি এই সংঘাতে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে হামাস। ড স্পায়ার বলেন, “এই দফার এই সংঘাতে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তা হলো হামাস এই প্রথম ইসরায়েলের ভেতর আরব জনগোষ্ঠীকে খেপিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এটি এবার হামাসের বড় একটি কৌশলগত অর্জন এবং ইসরায়েলের বড় মাথাব্যথার কারণ।“ আল আকসা মসজিদ। পূর্ব জেরুজালেম থেকে কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদ এবং আল আকসা মসজিদে যাওয়ার ওপর নানা বিধিনিষেধ চাপানোর ঘটনা নিয়ে শুরু হয় চলতি বিরোধ জেরুসালেম এবং ইসরায়েলের আরব অধ্যুষিত বিভিন্ন আরব শহরে ইসরায়েল বিরোধী যে বিক্ষোভ তা যে হামাসের ‘উস্কানি বা নেতৃত্বে হয়েছে‘ হয়েছে তা মনে করেন না সাদি হামদি। কিন্তু, তিনি বলেন এই সংঘাত হামাসকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করবে। “আমার মনে হয় রাজনৈতিকভাবে হামাসের অবস্থান শক্ত হবে। অনেক ফিলিস্তিনি মনে করবে যে হামাসের সাথে তাদের যত মতভেদই থাকুক না কেন অন্যায়ের প্রতিবাদে হামাস তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। হামাস সাহস করে ই সংঘাত শুরু করেছে বলেই ফিলিস্তিনি ইস্যু আবার আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় চলে এসেছে।'' সামি হামদি মনে করেন এই বিরোধের দুই বিজয়ী হলো “হামাস এবং নেতানিয়াহু।“ “হামাস আবারো দেখিয়েছে প্রতিরোধে কার্যকরী। ইসরায়েলি আয়রন ডোম ভেদ করেছে তাদের রকেট। এই প্রথম তারা লড়াইকে সীমান্ত পেরিয়ে তেল আবিবে নিয়ে গেছে যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হবে। এই ঘটনা ভবিষ্যতে দু্ই পক্ষের মধ্যে যে কোন মীমাংসার ধরন বদলাবে। “আর অন্যদিকে নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের বলছেন দেখ হামাস কত বড় হুমকি এবং তাদের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাকেই প্রয়োজন। আবারো ভোট হলে তিনিই হয়তো জিতবেন।'' অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, চলতি এই সংঘাতের জেরে হঠাৎ যেভাবে দল-মত-স্থান নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে ঐক্য চোখে পড়ছে তা বিরল। মাহমুদ আব্বাস নির্বাচন স্থগিত করায় লড়াই শেষ হলে ফিলিস্তিনি ঐক্যমত্যের সরকার গঠনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা জোরালো হচ্ছে। সাদি হামদি মনে করেন, জো বাইডেন নতুন করে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর যে ইঙ্গিত এখন দিচ্ছেন তাতে এই ঐক্য ভবিষ্যতে যে কোনো মীমাংসায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করবে।
লন্ডনে শনিবার গাযায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভে এক নারীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ডের ভাষা ছিল এরকম - ইসরায়েলে রকেট হামলা এবং ধর্ষিতার হাতে ধর্ষকের পিটুনির মধ্যে তফাত নেই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সন্তান হত্যাকারীদের এই তালিকায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গৃহিণী থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফল ব্যবস্থাপকও। সন্তানকে খুন করবার এই ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটছে না, অ্যামেরিকাতেও প্রতি চার জনের একজন মা নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতে চায় বলে জানাচ্ছে মনোবিজ্ঞানীরা। ২০১৪ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যামেরিকায় গত ৩২ বছরে যত খুন হয়েছে তার মোট ১৫ শতাংশই মূলত মায়ের হাতে শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা। ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে ২১ বছরে মোট ১১ হাজার শিশু অভিভাবকদের হাতে নিহত হয়েছে। গড়ে এই মৃত্যুর সংখ্যা বছরে ৩৪০টিরও বেশি। কিন্তু রাশিয়ার চিত্রটা যেনো আরো কঠিন। রাশিয়ায় টিকে থাকতে গেলে অনেক শক্ত ও অনমনীয় মনোভাবের হতে হয়। ফলে কেউ সেখানে তার মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে আরেকজনের সাথে সহজে কথা বলতে চায় না। শিশু হত্যার এই কাহিনীগুলো মূলত দেখাচ্ছে যে, সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই অনেক মা সন্তান জন্মদান পরবর্তী বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু পরিবারের নিকটজনেরা অনেকক্ষেত্রেই এই বিষণ্নতাকে চিহ্নিত করতে পারেন না। ফলে ঘটে দুঃখজনক পরিণতি। যত ট্যাবু মায়েরা কেন তাদের সন্তানদের খুন করেন সেই বিষয়ে রাশিয়ান নারীদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির সাংবাদিক ওলিসা গেরাসিমেঙ্কো ও স্ভেত্লানা রেইটার। তাদের অনুসন্ধান থেকেই জানা যায়, মাতৃত্বকে যেভাবে মহিমান্বিত করে দেখানো হয় সেই ভাবনায় বদল আনা দরকার। আলোয়না আলোয়না পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ। পিয়ত্রকে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্য কাটানোর সময় সন্তান আগমনের খবরে তারা দু'জনেই খুব উৎফুল্ল ছিল। জন্মের আগেই শিশুর জন্য পোশাক-আশাক কেনা শুরু করেন তারা। শুধু তাই নয়, মাতৃত্ব ও শিশুর নানা বিষয়ে জানতে যোগ দেন প্রাক-প্রসবকালীন কিছু ক্লাসে। কিন্তু জন্মদানের পর মায়ের মানসিক সমস্যা কী কী হতে পারে - তা নিয়ে ক্লাসে কেউ কথা বলেনি। জন্মদানের পর আলোয়না ইনসমনিয়াতে আক্রান্ত হয় এবং সব মিলিয়ে তাল সামলাতে হিমশিম খেতে থাকে। এই পরিস্থিতিই ধীরে ধীরে মনোরোগ হিসেবে দেখা দেয় এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধ সেবন শুরু করেন তিনি। একদিন পিয়ত্র বাড়ি ফিরে দেখে তাদের সাত মাসের শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। আর আলোয়নাকে পাওয়া যায় মস্কো শহরের সন্নিকটে একটি লেকের ধারে। পরবর্তীতে জানা যায়, নিজের সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে মারার পর আলোয়না নিজেও ডুবে মরতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকেন। এখন তার বিচার কার্যক্রম চলছে। রাশিয়ার অপরাধবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার আগে অন্তত ৮০ ভাগ নারী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং মাথাব্যাথা, ঘুমহীনতা ও অনিয়মিত মাসিকের ব্যপারে পরামর্শ নেন। এই নারীরা কারা? রাশিয়ার এটি একটি ট্যাবু। রাশিয়ান আইনে শিশু হত্যার বিষয়টি ট্যাবু-ক্রাইম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৮ সালে এমন ৩৩টি ঘটনার বিচার চলেছে। তবে অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, যে পরিমাণ ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় বাস্তবে তা ঘটে অন্তত ৮ গুণ বেশি। ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিস্ট মার্গারিটা কাচেভা জানান, নিজের সন্তানকে মেরে ফেলেছে - এমন অন্তত তিন-চারজন প্রতিমাসেই তাদের হাসপাতালে আসে। বিবিসি যে মায়ের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখেছে সেখানে হিসাবরক্ষক, শিক্ষক, বেকার নারী, সমাজকল্যাণ বিশেষজ্ঞ, রেস্টুরেন্টের কর্মী থেকে শুরু করে আরো নানা পেশার অন্তত ৩০জন নারী রয়েছে। অনেক নারী যারা তাদের সন্তানদের খুন করেছে তাদের স্বামী, সংসার, বাড়ি ও চাকরি রয়েছে এবং তারা কোন প্রকার নেশাতেও আসক্ত নয়। ডাক্তাররা বলেন, সন্তান জন্মদানের পরে, সুপ্ত মনোরোগ সহসাই বেড়ে যেতে পারে। যে নারী গভীর বিষন্নতায় আক্রান্ত তার দৈনন্দিন কাজে-কর্মে যে এটি সবসময় প্রকাশিত হয় তেমন নয়। কিন্তু গর্ভধারণ, সন্তান জন্মদান ও মেনোপজের ঘটনায় তা হঠাৎই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আন্না নামের ৩৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষকেরো রয়েছে এরকম আরেক কাহিনী। আন্না তার সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মারতে চেয়েছিল। পরে শিশুটিকে কোনমতে উদ্ধার করা হয় আর আন্নাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে যে, আন্না ক্রনিক স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত। ড. কাচেভা বলেন, মনোরোগে আক্রান্ত হয়ে যে নারী তার সন্তানকে হত্যা করেছে তাকে যে দেখেই পাগল মনে হবে এমন নয়। বরং ঘটনাটি ঘটার আগ পর্যন্ত সে স্বাভাবিক জীবনই কাটাতে পারে। যেমন ২১ বছর বয়সী আরিনা। নিজের শিশুকে বুকে নিয়ে সে নয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিল। লাফিয়ে পড়ার পরেও অবিশ্বাস্যভাবে তারা দু'জনেই বেঁচে যায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করার পর আরিনাকে হাসপাতালে পাঠানোর হলে তারও স্কিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে। অ্যামেরিকার মত রাশিয়াতেও আদালত দোষী মায়েদের নানান ধরণের শাস্তি দিয়ে থাকে। বিশেষত, হত্যাকারী মা যদি পাগল বলে প্রমাণিত না হয় তাহলে তার সাজা হতে পারে দীর্ঘ কারাবাস। বলা হচ্ছে, যে নারীরা সন্তানদের খুন করছে তারা নিজেরাও নিজেদের শৈশবে কোন না কোন ভাবে নিগৃহীত ছিলেন। রাশিয়ান এক গবেষণা বলছে, হত্যাকারী মায়েদের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগই দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন এবং অন্তত ৮৫ ভাগই বিবাহিত জীবনে দ্বন্দ্ব ও কলহে জড়িত। গবেষকরা বলছেন, মিথ্য বলা, তর্ক করা, ঝগড়া করা এবং অ্যালকোহলে আসক্তির সাথে পরবর্তীতে শিশু হত্যার সম্পর্ক রয়েছে। আর নিজের বাবা-মায়ের সাথে যাদের সম্পর্ক জটিলতাপূর্ণ, তারাও পরবর্তীতে শিশুর প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। হত্যাকারী মায়েদের অধিকাংশই আসলে আবেগীয়, যৌন ও শারীরিকভাবে কোন না কোনভাবে নির্যাতিত। অবশ্য অনেক আইনজীবী সন্তান হত্যাকারী মায়েদের পক্ষে মামলা নিতে চান না। ৩৩ বছর বয়সী তাতিয়ানা। সে নিজেও ওইসব হন্তারক মায়েদের তিরস্কার করতো। কিন্তু নিজে মা হবার পর তার দুনিয়াটাই একদিন বদলে গেলো। তার মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দিলো এবং সে নিজেও নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার কথা ভাবতো। ফলে, এই সংকট থেকে বাঁচতে সে একদিন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়। প্রতিরোধ এই সব হত্যাকাণ্ড বন্ধের অন্যতম উপায় হিসেবে গর্ভধারণ নিরুৎসাহিত করা হয়। পাশাপশি রাশিয়ান ও পশ্চিমা ডাক্তারেরা মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে, বিশেষ করে, সন্তান জন্মদান পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে মনোযোগী হবার পরামর্শ দিয়েছেন। ড. মার্গারিটা কাচায়েভা বলেছেন, রাশিয়ায় নারীদের সংকটকালীর ব্যবস্থার জন্য সেন্টার রয়েছে। কিন্তু সেগুলোও আধ-খালি পড়ে থাকে। কারণ রাশিয়ান নারীরা মনে করে যে, তার মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বললে হয়তো সন্তানকে তাদের থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।
নিজেরই গর্ভজাত সন্তানকে হত্যার দায়ে রাশিয়াতে প্রতিবছর বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন কয়েক ডজন মা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মূর্তি বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি যতোই ভারতের ঔপনিবেশিক অতীতের বিষয়ে লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করি, ততোই দেখতে পাই যে আমার দেশের বেশিরভাগ মানুষ যুদ্ধকালীন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের ব্যাপারেও রয়েছে একেক জনের একেক রকমের মতামত। অনেকের কথা হলো ব্রিটিশরা ভারতের জন্য অনেক কিছু করেছে- তারা রেলওয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করেছে, তৈরি করেছে ডাক বিভাগ। "তারা তাদের নিজেদের জন্যই এসব করেছে এবং তার ফলে ভারত একটি দরিদ্র ও লুট হয়ে যাওয়া দেশে পরিণত হয়েছে," কেউ কেউ তার জবাব দিয়েছে এভাবে। আমার দাদি সবসময় আবেগের সঙ্গে বলতেন যে কীভাবে তারা "ওইসব বর্বর ব্রিটিশের" বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। আমি যে ভারতে বড় হয়েছি, এধরনের ক্ষোভ সত্ত্বেও সেদেশে যা কিছু পশ্চিমা অথবা সাদা চামড়ার কেউ কিছু করলে বা বললে সেটাকে অনেক বড় করে দেখা হতো। কয়েক দশকের ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে এদেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর গত ৭৩ বছরে ভারতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন এক ভারতীয় প্রজন্ম যারা বিশ্বে নিজেদের দেশের অবস্থানের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে আমাদের ঔপনিবেশিক শাসনামলের বহু কালো অধ্যায়ের ব্যাপারে এখনও কেন পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে এবং আমরা কেন সেগুলোর নিন্দা করি না। এরকম কালো অধ্যায়ের একটি হচ্ছে ১৯৪৩ সালে বেঙ্গলের বা বাংলার দুর্ভিক্ষ। সেসময় অনাহারে মারা গেছে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যতো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এই সংখ্যা তার চেয়েও ছয় গুণ বেশি। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে মারা যায় ৩০ লাখ মানুষ। প্রতি বছরেই ব্রিটিশদের যুদ্ধ জয় এবং তাতে নিহতদের স্মরণ করা হয়, কিন্তু এই একই সময়ে ব্রিটিশ-শাসিত বেঙ্গলে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছিল সেটা একেবারেই বিস্মৃত হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন সে সময় শকুন ও কুকুরে খাওয়া মরদেহ জমিতে ও নদীর ধারে পড়ে থাকার কথা। এতো মৃতদেহের সৎকার করার ক্ষমতাও কারো ছিল না। গ্রামে যাদের মৃত্যু হয়নি তারা খাদ্যের সন্ধানে শহরাঞ্চলে চলে যান। "প্রত্যেককে কঙ্কালের মতো দেখাতো, মনে হতো শরীরের কাঠামোর ওপরে শুধু চামড়া লাগানো," বলেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্ভিক্ষের সময় তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। "ভাত রান্নার সময় যে মাড় তৈরি হয়, লোকজন সেটার জন্য কান্নাকাটি করতো। কারণ তারা জানতো যে তাদেরকে তখন ভাত দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না। একবার যে এই কান্না শুনেছে সে তার জীবনে কখনো এই কান্নার কথা ভুলতে পারবে না। এখনো সেসব নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার চোখে জল চলে আসে। আমি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।" বেঙ্গলে এই দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৪২ সালের এক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে। তবে এই পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছিল স্যার উইনস্টন চার্চিল ও তার মন্ত্রিসভার নীতিমালার কারণে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইতিহাসবিদ ইয়াসমিন খান বলেছেন বার্মা থেকে জাপানিরা বেঙ্গল দখল করতে চলে আসতে পারে এই আশঙ্কায় ওই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিলো। "এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল শস্যসহ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলা, এমনকি যেসব নৌকায় শস্য বহন করা হবে সেগুলোও। ফলে জাপানিরা যখন আসবে তারা আর সেখানে টিকে থাকার জন্য সম্পদ পাবে না। এই নীতি গ্রহণের ফলে যেসব প্রভাব পড়েছিল ইতিহাসে সেগুলো ভালো করেই লেখা আছে।" ভারতীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ সৈন্যদের লেখা ডায়েরিতে দেখা যায়, উইনস্টন চার্চিলের সরকার ভারতে জরুরি খাদ্য সাহায্য পাঠানোর আবেদন কয়েক মাস ধরে বাতিল করে দিয়েছিল। এর পেছনে কারণ ছিল ব্রিটেনে খাদ্যের মজুত কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং যুদ্ধের বাইরে অন্য কাজে জাহাজ মোতায়েন করা। চার্চিল ভেবেছিলেন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় স্থানীয় রাজনীতিকরাই অনেক কিছু করতে পারবেন। বিভিন্ন নোটে ভারতের প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারেও কিছু ধারণা পাওয়া যায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: রবার্ট ক্লাইভের মূর্তি নিয়ে বিতর্ক: জাতীয় বীর নাকি সম্পদ লুন্ঠনকারী নিপীড়ক? বর্ণবাদের অভিযোগে স্থগিত গান্ধীর মূর্তি নির্মাণ ব্রিস্টলের দাস-ব্যবসায়ী কলস্টন কেন এত বিতর্কিত? দুর্ভিক্ষের ত্রাণের বিষয়ে সরকারের এক আলোচনায় ভারত বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট লিওপোল্ড এমারি বলেছিলেন যে চার্চিল মনে করতেন, ভারতে কোন সাহায্য পাঠিয়ে লাভ হবে না কারণ "ভারতীয়রা খরগোশের মতো অনেক বাচ্চা প্রসব করে।" ইতিহাসবিদ মিস খান বলেন, "দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির জন্য আমরা তাকে কোনভাবেই দায়ী করতে পারি না। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি যে দুর্ভিক্ষ লাঘব করার জন্য তার যখন ক্ষমতা ছিল, সেসময় তিনি কিছু করেননি।" "শ্বেতাঙ্গ ও ইউরোপীয় জীবনকে দক্ষিণ এশীয়দের জীবনের চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমরা তাকে দায়ী করতে পারি। এটা সঠিক ছিল না কারণ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্যও যুদ্ধ করেছে।" ব্রিটেনে অনেকে দাবি করেন ভারত সম্পর্কে চার্চিল ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করলেও তিনি ভারতকে সাহায্য করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তাতে বিলম্ব হয়েছে। তবে তার আমলেই লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন অত্যন্ত মৌলিক একটি পণ্য- খাদ্যের অভাবে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা এবং সেসময়ে ভারতের ভাইসরয় আর্চিবাল্ড ভ্যাবেল বেঙ্গলের দুর্ভিক্ষকে ব্রিটিশ শাসনামলের অন্যতম বড় এক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছিল সেটা অপরিমেয়। দুর্ভিক্ষ থেকে যারা বেঁচে গেছেন তারা এতে অতন্তু ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "ভেতরে ভেতরে একটা আশা ছিল যে ব্রিটিশ সরকার সেসময় ভারতের প্রতি যা করা হয়েছিল তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে।" যুক্তরাজ্যেও অনেকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জুন মাসে ব্রিটেনে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় লন্ডনে চার্চিলের একটি মূর্তি বিকৃত করে ফেলা হয়। "আমি মূর্তি ভেঙে ফেলা বা বিকৃত করার পক্ষে নই," বলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদ রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়। "কিন্তু আমি মনে করি এসব মূর্তির নিচের দিকে ধাতব যে পাত থাকে সেখানে পূর্ণ ইতিহাস লেখা উচিত যে চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর নায়ক ছিলেন। আবার এটাও লেখা উচিত যে ১৯৪৩ সালে বেঙ্গলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্যেও তিনি দায়ী ছিলেন।" বর্তমানের লেন্স দিয়ে অতীতের বিচার করা হলে সারা বিশ্বে হয়তো একজন বীরও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভারতে স্বাধীনতার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মোহনদাস গান্ধীও অভিযুক্ত হয়েছেন তার কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। তবে তাদের জীবনের সর্বাঙ্গীন সত্য স্বীকার করতে না পারলে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া কঠিন। আমার শিশুকালের আইকন এনিড ব্লাইটনও সমালোচিত হয়েছেন তার বর্ণবাদী ও যৌনবৈষম্যবাদী কাজের জন্য। এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে আমি ও আমার বোন পিতামাতার বাড়িতে যা রেখে এসেছি, সেখানে এসব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ আছে। আমি কি এখন সেগুলো সব ছুঁড়ে ফেলে দেব? না। আমার শৈশবে তারা যে সুখস্মৃতি তৈরি করেছেন সেগুলো, আমি এখন যা জানি, তা দিয়ে নষ্ট হবে না। কিন্তু সেসব বই আমি আমার পরিবারের শিশুদের পড়তে দেব না। তাদের সেসব গল্পই পড়া দরকার যেখানে ভারসাম্যপূর্ণ এক বিশ্বের কথা বলা হয়েছে।
আমার শৈশবে উইনস্টন চার্চিল সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি। আমি শিশু সাহিত্যিক এনিড ব্লাইটনের একটি বই পড়ছিলাম। তিনি লিখেছেন ‌ওই "মহান রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তার এতোটাই শ্রদ্ধা ছিল" যে তার একটি ছবি তিনি তার বাড়ির ফায়ার প্লেসের ওপরে সাজিয়ে রেখেছিলেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
প্রথম ধাপে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে এ মাসের সাত তারিখ থেকে দেশব্যাপী টিকার মূল কর্মসূচি শুরু হবে এবং ইতোমধ্যেই সব জেলায় টিকার ডোজ পৌঁছে গেছে। প্রথম ধাপে সারা দেশে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের অবস্থা কী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধিী টিকা নেবেন কিনা, ‘'হ্যাঁ’' জবাব দিতে তিনি একদমই সময় নেননি। তবে তখনও তিনি জানতেন না যে তিনিই হবেন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া প্রথম ব্যক্তি। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন টিকা নিয়ে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে থাকার পরপরই সোজা কাজে ফিরে গেছেন তিনি। রুনু ভেরোনিকা কস্তা বলছিলেন, “যে রোগের চিকিৎসায় এত ঝুঁকি নিয়েছি তার টিকা নেবো না এরকম কীভাবে হয়? আমাকে টিকা দেয়ার পর রাতে একবার ঘুমের মধ্যে বাম দিকে কাত হওয়ার পর হাতে একটু ব্যথা পেলাম তারপর মনে পড়লো আমিতো টিকা নিয়েছি। এর বাইরে টিকা নিয়ে আমার আর কোন অনুভূতি হয়নি। যেমন ছিলাম তেমনই হাসপাতালে কাজ করছি, বিয়ের দাওয়াত খাচ্ছি।” এই সেবিকা সহ প্রথম দিন ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। এরপর ঢাকার চারটি হাসপাতালে প্রায় ছয়শ ব্যক্তিকে টিকা দিয়ে সাতদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টিকা দেয়া হয়েছে ২৭ ও ২৮শে জানুয়ারি দুই দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন কুড়ি জনের মতো হালকা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। “একজন ধরেন বলেছে মাথা ঘুরাচ্ছে, কারো জ্বর হয়ে আবার নেমেও গেছে, একজন বলেছে তার বমি হয়েছে। খুব বেশি সমস্যা কারো হয়নি। সব টিকাতেই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।” দেশব্যাপী কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি কতটা নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন এ মাসের সাত তারিখ থেকে দেশব্যাপী টিকার মূল কর্মসূচি শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যেই টিকার ৬০ লাখ ডোজ দিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আরও পড়তে পারেন: রুনু ভেরোনিকা কস্তা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া প্রথম ব্যক্তি। বাংলাদেশে শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেবার কর্মসূচিতে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেওয়ার কাজ করবেন। সারা দেশে তাদের নিয়ে সাত হাজারের বেশি কর্মীর দল গঠন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি দলে স্বেচ্ছাসেবক সহ ৬ জন করে সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় তারা নিয়োজিত থাকবেন। “জনসংখ্যার হিসেব করে কোথায় কত টিকা দেয়া হবে তার একটা ম্যাপিং করা হয়েছে। কোথায় কত টিম কাজ করবে সেটাও জনসংখ্যার ভিত্তিতে করা হবে। ইতিমধ্যেই সব জেলায় ৬০ লাখ টিকার ডোজ ডিস্ট্রিবিউট করা হয়েছে,” জানাচ্ছেন নাসিমা সুলতানা। নিবন্ধনের জন্য যে অ্যাপটি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চালু হওয়ার কথা ছিল সেটি হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেছেন এর কারণ গুগল প্লেতে তা অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি এখনো মেলেনি। কীভাবে টিকার ডোজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি টিকার ডোজ দেয়া হবে ঢাকা জেলায়। যার সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের মতো আর চট্টগ্রামে সাড়ে চার লাখ। প্রত্যন্ত এলাকায় তা কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তরে খুলনা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলছেন, বাংলাদেশ টিকা কর্মসূচিতে খুবই সফল। "শুধু আমার জেলায় না, দেশের প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে আইএলআর রয়েছে। এই আইস লাইন্ড রেফ্রিজারেটরে দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় আমরা টিকা সংরক্ষণ করি। “বাংলাদেশে শিশুদের যত টিকা দেয়া হয় সব আমরা আইএলআর-এ রাখি। সংরক্ষণ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। যেমন আমার আইএলআর আছে ১৬টি। কোভিড ভ্যাক্সিন রাখার জন্য দরকার হয়েছে চারটি,” জানান ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ। টিকাদানের মূল কর্মসূচি শুরু হচ্ছে সাতই ফেব্রুয়ারি থেকে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকায় আগ্রহী করতে প্রচারণা সরকারিভাবে নানা জেলায় লোকজনকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা শুরু হয়েছে। তবে সব জেলায় এখনো শুরু হয়নি বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ অবশ্য বলেছেন, “আমার যত কর্মী যে যেখানে আছে তাদের সবাইকে কাজে লাগানো হয়েছে। ব্যাপক মাইকিং ছাড়াও তারা ব্যক্তিগতভাবেও সবার সাথে কথা বলছে।” তবে টিকা নেবার ব্যাপারে আগ্রহ যেমন কম, তেমনি ওয়েবসাইটে নিবন্ধনে জটিলতার অভিযোগ করছেন অনেকে। আরও পড়তে পারেন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাস টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, তাদের কাছেও এই অভিযোগ এসেছে। নিবন্ধন সহজ করার জন্য তারা কাজ করছেন। কিন্তু তবুও আগ্রহী নন অনেকে বলে তিনি বলছেন। ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আরেকজন সেবিকা বলছেন তিনি টিকা নেবেন কিনা সে নিয়ে তার মধ্যে দ্বিধা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “কারণ আসলে ওই যে যেটা সবাই জানে সেটাই। ভ্যাক্সিন নিয়ে অনেকের প্রবলেম হচ্ছে। অনেকে বলতেছে এখনো পর্যন্ত ওইভাবে ভ্যাক্সিন কার্যকরী কিনা সেটা এখনো প্রমাণিত হয়নি। এজন্যই আরকি নিতে চাচ্ছি না।”
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়ার জন্য বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ৮০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ইশতেহার বাস্তবায়ন গুরুত্ব দিয়ে সরকার পরিচালনা ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ''এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি জরিপগুলোও এরকম ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়েছিল।'' সরকার গঠনের পর শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম দেয়া ভাষণে তিনি সুশাসন ও সংসদকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া নতুন সরকার পরিচালনা ও লক্ষ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নতুন মন্ত্রিসভাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। বিরোধী জোট থেকে নির্বাচিতদের সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেয়ার জন্যও আহবান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিবিস বাংলায় আরো পড়ুন: ক্ষমতার এ দফায় কী চাইছেন শেখ হাসিনা 'দল-মত দেখা হবেনা, প্রতিটি নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ' নির্বাচনের ফলকে কীভাবে দেখছেন ভারতীয় গবেষকরা? টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করছেন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের বিজয়ের কারণ সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এই 'ল্যান্ড স্লাইড' বিজয়ের কারণ হিসাবে ১৪টি উপাদান উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এগলো হলো: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৫৭টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। আর দল নেতৃত্বাধীন জোট আসন পেয়েছে ২৮৮টি। বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে মোট আটটি আসনে বিজয়ী হয়েছে বিরোধীদের পরাজয়ের যেসব কারণ নির্বাচনে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মোট ৬টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। আর তাদের জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট সব মিলিয়ে পেয়েছে ৮টি আসন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসাবে তাঁর বক্তব্যে সাতটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো: বিবিসি বাংলার আরো খবর: ভেনেজুয়েলা সংকট: কোন ভূমিকায় সেনাবাহিনী? চেষ্টা করে কি হাল্কা-পাতলা হওয়া সম্ভব? টয়লেটে বসে সাপের কামড় খেলেন তিনি ঘুমিয়ে থাকা ১৩ শ্রমিক নিহত: ঘটনা ঘটলো যেভাবে সংসদকে সবকিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনা নতুন সরকার যেসব কাজকে প্রাধ্যান্য দেবে নতুন সরকার যেসব কাজকে প্রাধান্য দেবে সে সম্পর্কে কথা বলেছেন চতুর্থ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে চতুর্থ বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়ে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলছেন, যেকোনো নীতিমালা প্রণয়নে এবং উন্নয়ন কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহার পথ নির্দেশক হিসাবে কাজ করবে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের কাজে গতি আনা হবে। প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকারি সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠান করা হবে এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন বজায় রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সংসদকে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম, তবে সংখ্যা দিয়ে তাদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যতই কম হোক, সংসদে যেকোনো সদস্যের ন্যায্য ও যোগ্য প্রস্তাব, আলোচনা-সমালোচনা যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদে শপথ নেয়ার জন্য আহবান জানান। জাতীয় ঐক্য শেখ হাসিনা বলছেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান, আমরা সবার জন্য কাজ করবো। শান্তিপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন শেখ হাসিনা, যেখানে সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে পারবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনে কারচুরি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শোধরানোর আহবান শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহবান জানাচ্ছি। আইনের প্রয়োগ এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। দুর্নীতি বন্ধে জনগণকে অংশগ্রহণ করার আহবানও জানান তিনি। নবীন-প্রবীণের মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ''নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে আমি আমার মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যম - এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তরুণদের শক্তি, মেধা ও মননকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথাও তিনি বলেছেন। তাঁর ওপর জনগণ যে আস্থা রেখেছে, তিনি তার প্রতিদান দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তিনি দেশবাসী, নির্বাচন কমিশন, সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের দল আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য ১৪টি কারণ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে বিরোধীদের পরাজয়ের পেছনে সাতটি কারণ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ভারতের দ্রুততম নারী স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ জানিয়ে দিলেন তিনি সমকামী এই প্রথম ভারতে কোনো তারকা ক্রীড়াবিদ খোলাখুলি জানালেন তিনি সমকামী। তাকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা লিখেছেন, "আমি এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছি যে আমার হৃদয়-সঙ্গী। আমি বিশ্বাস করি কে কার সাথে জীবন কাটাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। আমি সবসময়ই সমকামী সম্পর্কের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছি।" ২৩ বছরের দ্যুতি চাঁদ তার নারী সঙ্গীর নাম পরিচয় বলেননি কারণ তিনি চাননা ঐ নারী "অযাচিতভাবে" মানুষের নজর কাড়ুক। মিস চাঁদ আগামী বছরের টোকিও অলিম্পিকস এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অনুশীলন করছেন। তিনি বলেন, সে কারণে এখনই তার সঙ্গীর সাথে সংসার শুরুর কথা ভাবছেন না। ভারতে এখনও সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি নেই, তবে সমকামী বিয়ে 'অবৈধ' বা 'অপরাধ' এমন কোনো আইনও সেদেশে নেই। এছাড়া, গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৫৮ বছরের পুরনো একটি আইন রদ করে দেয় যে আইনে সমকামী সম্পর্ককে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হতো। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ২০০ মিটার দৌড়ে রুপা জেতেন দ্যুতি চাঁদ উড়িষ্যা রাজ্যের প্রত্যন্ত জাজপুর জেলার চাকা গোপালপুর নামে একটি গ্রামে এক তাঁতির ঘরে তার জন্ম হলেও খেলাধুলোর জগতে অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন দ্যুতি চাঁদ। তবে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন (আইএএএফ) বছর পাঁচেক আগে নারী অ্যাথলেটদের শরীরে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়ায় দ্যুতি চাঁদের কেরিয়ার হুমকির মুখে পড়ে। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় দল থেকে দ্যুতি চাঁদকে বাদ দেওয়া হয়। পরে দ্যুতি চাঁদ সুইজারল্যান্ডের লোসানে খেলাধুলো বিষয়ক মীমাংসা আদালতে আইএএফ-এর নতুন বেঁধে দেওয়া টেস্টোস্টেরনের মাত্রার বিরুদ্ধে আপীল করে সফল হন। গত বছর আইএএএফ তাদের ঐ নতুন বিধি তুলে নেয়ায় দ্যুতি চাঁদ এশিয়া কাপে নারীদের ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিতে সক্ষম হন। আরো পড়তে পারেন: যে পাঁচজনের লড়াইয়ে ভারতে সমকামিতা বৈধ হল ভারতের গ্রামাঞ্চলে সমকামীদের জীবন যেমন
একশ' মিটার দৌড়ে ভারতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী নারী দৌড়বিদ দ্যুতি চাঁদ, যিনি ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে দুটো রৌপ্য পদক জিতেছেন, জানিয়েছেন তিনি সমকামী এবং উড়িষ্যায় তার নিজের শহরেই তিনি তার নারী সঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গিঙ্কো বাইলোবা। আয়ু ১,০০০ বছরের বেশি। উপরের এই গাছটির নাম গিঙ্কো বাইলোবা। এটি মেইডেনহেয়ার নামেও পরিচিত। চীনে এই গাছটি দেখতে পাওয়া যায়। এটি ১,০০০ এর বেশি বছর বেঁচে থাকতে পারে। এর দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে গোপন কী কারণ আছে বিজ্ঞানীরা সেটি সম্প্রতি খুঁজে বের করেছেন। বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই গাছ এমন কিছু রাসায়নিক উৎপাদন করতে পারে যা তাদেরকে রোগ জীবাণু ও খরা থেকে রক্ষা করে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বৃক্ষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। গ্রেট বেসিন ব্রিসেলকোন পাইন। আয়ু ৪,৮০০ বছর। উপরের ছবির এই গাছগুলোর নাম গ্রেট বেসিন ব্রিসেলকোন পাইন। ধারণা করা হয় পৃথিবীতে এখনও যেসব গাছপালা ও পশুপাখি বেঁচে আছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন। সারা বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত ব্রিসেলকোন পাইন গাছটির নাম মেথুসেলাহ। ধারণা করা হয় এই গাছটির বয়স ৪,৮০০ বছরেরও বেশি। এর দীর্ঘ জীবনের পেছনে দারুণ একটি বিষয় হচ্ছে এটি অত্যন্ত বিরুপ ও বৈরি পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। এসব গাছের জন্মও হয় সেরকম পরিবেশে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা এবং ইউটার উঁচু উঁচু পর্বতে এই গাছটি জন্মায়। এরা ধীরে ধীরে বড় হয়। এক জায়গায় প্রচুর গাছ থাকে। এর ফলে তারা নিজেদেরকে পচন, নানা রকমের কীটপতঙ্গ ও ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা করতে পারে। ক্রিপ্টোমেরিয়া। আয়ু ৬৫০ বছর। উপরের গাছগুলোর নাম ক্রিপ্টোমেরিয়া। এগুলো জাপানি সেডার নামেও পরিচিত। চীনের কিছু কিছু এলাকায় এবং দক্ষিণ জাপানে এই গাছগুলো দেখতে পাওয়া যায়। হালকা শীতের আবহাওয়ার মধ্যে এই গাছ জন্মায়। জাপানের এরকম কিছু কিছু গাছের বয়স ৬৫০ বছরেরও বেশি বলে ধারণা করা হয়। আর চীনে এই প্রজাতিরই কিছু গাছের বয়স প্রায় ১,০০০ বছর। আরো পড়তে পারেন: চলতি বছর যে ১০টি গাছ আবিষ্কার হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ৩৫ কোটি গাছ রোপণ ইথিওপিয়ার ইথিওপিয়া কি এই বছর চারশো কোটি গাছ লাগিয়েছিল? আলেরসা। আয়ু ৪,০০০ বছর। উপরের গাছগুলোর নাম আলেরসা যা প্যাটাগোনিয়ান সাইপ্রেস নামেও পরিচিত। চিলি ও আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চলে এই গাছটি খুঁজে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় যে এই প্রজাতির সবচেয়ে পুরনো বৃক্ষটির বয়স আনুমানিক ৪,০০০ বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গাছটিতে এমন এক ধরনের রস আছে যা তাদেরকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি পানিতে থাকলেও এই গাছ পচে না। আফ্রিকান বেওবাব। আয়ু ২,০০০ বছর। উপরের গাছগুলো আফ্রিকান বেওবাব গাছ। এই বৃক্ষ ২,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু সম্প্রতিএই প্রজাতির অনেক প্রাচীন গাছ মারা গেছে। বিজ্ঞানীরা এর জন্যে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। এই গাছটি নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি এমন ফল দেয় যাতে কমলার চাইতেও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এর শেকড় থেকে লাল রং তৈরি করা যায় এবং এর বাকল দিয়ে ঝুড়ি ও দড়ির মতো নানা রকমের জিনিস তৈরি করা যায়। নিচের ভিডিওতে দেখুন বাংলাদেশে একজন 'গাছবন্ধুর' কথা। গাছ বাঁচাতে তিনি কিভাবে লড়াই করছেন: গাছ বন্ধু ওয়াহিদ সরদা আরো পড়তে পারেন: পুশব্যাক নিয়ে কিছুই জানতাম না: বিবিসিকে মমতা জরুরী অবতরণের আগে স্কুলের ওপর তেল ফেলেছে বিমান 'অবাস্তব' নিয়ম আর যা নিয়ে আলোচিত এবারের বিপিএল পিতার সহায়তায় কিশোরীকে বছর ধরে ধারাবাহিক ধর্ষণ
গিঙ্কো গাছ বেঁচে থাকতে পারে এক হাজারেরও বেশি বছর। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই বৃক্ষের দীর্ঘায়ু হওয়ার গোপন কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখানে পৃথিবীর প্রাচীন কিছু গাছের কথা তুলে ধরা হলো: